Datasets:

Modalities:
Text
Formats:
json
Languages:
Bengali
Libraries:
Datasets
pandas
id
stringlengths
5
10
text
stringlengths
32
27.8k
doc-0
যমেশ্বর বা জেমসওয়ার মন্দিরটি অত্যন্ত প্রাচীন মন্দির যা শিবকে উৎসর্গ করা হয়েছে এবং যম দ্বারা পূজা করা। ভারতবর্ষের ওড়িশা রাজ্যে ভুবনেশ্বরের কাছে যমেশ্বর পাটনায় এটি অবস্থিত। এটি ওড়িশার শিব মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম শিব মন্দির। ওড়িশার এই শিব মন্দিরটি ৭০০ থেকে ৬০০ বছরের প্রাচীন। ইতিহাস যমেশ্বর বা জেমসওয়ার মন্দিরটি পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্যে গড়ে ওঠে শিব পুজার উদ্দেশ্য। মন্দিরটি আজ থেকে প্রায় ৭০০-৬০০ বছর পূর্বে ১৩ তম থেকে ১৪ তম শতাব্দীতে নির্মান করা হয়েছিল। মন্দিরটি নির্মান করেছিল সেই সময়ের পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের রাজত্ব কালে রাজ বংশের রাজাদের দ্বারা। মন্দিরটিতে সেই সময় থেকেই ভগবান শিবের পূজা হয়ে আসছে এই মন্দিরে। কথিত আছে এই মন্দিরে যমের দ্বারা শিবের পূজা হয়ে থাকে। স্থাপত্য যমেশ্বর মন্দিরটিতে প্রাচীন দেউল স্থাপত্য লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরে প্রধানত ভীমানা রেখা দেউল শৈলীতে রয়েছে, জগ মোহন, পাধা দেউল শৈলীতে রয়েছে এবং একটি পৃথক মন্ডপ রয়েছে। মন্দিরের অনেক অংশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্দিরটি বেলেপাথর দ্বারা নির্মিত। বাইরের প্রকারটি ল্যটেরাইট দ্বারা নির্মিত। মন্দিরের চারপাশের আইকনগুলির মধ্যে রয়েছে দিক্লালাস, অমর দম্পতি, নায়েক, বিদালাস, ইরিটিক্স, হাতি মিছিল ইত্যাদি। অভ্যন্তরীণ গড়াগড়ের একটি বৃত্তাকার ইউনিপিথের মধ্যে শিবলিঙ্গকে ঘিরে রয়েছে। প্রাচীর পূর্ব গঙ্গ রাজবংশের সময় ১৩ তম থেকে ১৪ তম শতাব্দীতে মন্দির নির্মিত হয়েছিল। মন্দির স্থাপত্য ও শিল্পকলা গুলি রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। উৎসব এই মন্দিরের সাথে অমিতাভ অবস্থায় প্রধান উৎসব হল যন্তিয়া বা পূজিয়াটিয়া উৎসব যা দস্ত্রিভন ওশা নামে পরিচিত।এই উৎসব খুব জাঁকজম ভাবে পালিত হয় মন্দিরটিতে। অন্য উৎসবগুলি হচ্ছে শিবরাত্রি এবং কার্তিক পূর্ণিমা। এই মন্দিরে সমস্ত সোমবার এবং সংকরানা দিন গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনগুলিতে পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভেরানী নকশার সময় এই মন্দিরটি পরিদর্শন করে এমন সব মানুষকে বলা হয় সকল দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত। দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির আশায় মানুষ এই মন্দিরের পরিদর্শন করতে আসেন। চিত্রশালা আরও দেখুন ভুবনেশ্বরের মন্দিরসমূহের তালিকা। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Images of the temple on Indira Gandhi National Centre for the arts. Temple report on Indira Gandhi National Centre for the arts. শিব মন্দির ভুবনেশ্বরের হিন্দু মন্দির ওড়িশার মন্দির ওড়িশার শিব মন্দির ১২শ শতাব্দীর হিন্দু মন্দির
doc-1
ওবায়দুল্লাহ হামযাহ (জন্ম: ১৯৭২) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ। তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার ষষ্ঠ মহাপরিচালক ও আরবি বিভাগীয় প্রধান, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব, বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার মহাসচিব, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরীয়াহ সুপারভাইজারি কমিটির সভাপতি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শরীয়াহ সুপারভাইজারি কমিটির সভাপতি, বাংলা সাময়িকী মাসিক আত তাওহীদের সহকারী সম্পাদক এবং আরবি সাময়িকী বালাগুশ শরকের প্রধান সম্পাদক। প্রারম্ভিক জীবন হামযাহ ১৯৭২ সালে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন ডিগলিয়া পালং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আমির হামযাহ। তিনি ডিগলিয়া পালং কাসেমুল উলুম মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। তারপরে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। উলা (স্নাতক) শ্রেণীতে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ হতে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৯২ সালে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অধীনে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৯৩ সালে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায় উচ্চতর বাংলা সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগ সমাপ্ত করেন। কর্মজীবন শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর দারুস সুন্নাহ কক্সবাজারে হাদিসের শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। ১৯৯৪ থেকে ২০০০ পর্যন্ত ৬ বছর তিনি সৌদি আরবের ধর্ম ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে শিক্ষক ও অনুবাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায় শিক্ষক হিসেবে যােগদান করেন। ২০০৩/২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় রেডিও ইসলাম প্রােগ্রাম করেন। তিনি ২০০৮ সালে মক্কায় অনুষ্ঠিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপে অংশ গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে থাইল্যান্ডে প্রায় ৩০ টি কলেজ, ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রেডিও ষ্টেশন, থাই মুসলিম টিভিতে তিনি দ্বীনি ও দাওয়াতী বক্তব্য দেন। তিনি ২০১৩ সালে বৈরুত , লেবাননে আরব লীগ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়ােজিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন কোর্সে অংশ গ্রহণ করেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শরীয়াহ বাের্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পালনের তিনি এই বোর্ডের সভাপতি মনোনীত হন। তিনি চট্টগ্রামের হালিশহর এ ব্লক কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিবের দায়িত্বও পালন করছেন। ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার মহাসচিব রহমতুল্লাহ কাউসার নিজামীর মৃত্যুর পর তিনি সংস্থার মহাসচিব নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মজলিসে শুরার এক অধিবেশনে তাকে সহকারী পরিচালক নিযুক্ত করা হয়। আব্দুল হালিম বুখারীর মৃত্যুর পর তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মনোনীত হন। ২০২২ সালের ৭ জুলাই তিনি মজলিসে শূরা কর্তৃক মাদ্রাসার মহাপরিচালক মনোনীত হন। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব মনোনীত করা হয়। ২০২৩ সালের ৩ জুলাই তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরীয়াহ সুপারভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সম্মাননা ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট বিশ্ব মুসলিম লীগ কর্তৃক ‘ইসলামে দয়া ও পরোপকারে তাৎপর্য’ বিষয়ের ওপর ৬৪টি দেশের মুসলিম স্কলারদের প্রবন্ধ গৃহীত হয়, তাদের মধ্যে ৮ জনের প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়। ৮ জনের মধ্যে প্রথম অধিবেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য মনোনীত হন ওবায়দুল্লাহ হামযাহ। বাংলাদেশ থেকে এ কনফারেন্সে তাকে সম্মাননা ও হজ্বের আমন্ত্রণ দেওয়া হয়। প্রকাশনা তিনি আরবি পত্রিকা বালাগুশ শরকের প্রধান সম্পাদক ও বাংলা সাময়িকী মাসিক আত তাওহীদের সহকারি সম্পাদক। তার রচিত ও সম্পাদিত বই সমূহের মধ্যে রয়েছে: ইংরেজি Charity in Islam : Benefits and Excellences. Human Dignity and Dead Body Management in Islam বাংলা কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান বিপন্ন নারী ইসলাম বনাম সন্ত্রাসবাদ খ্রিস্টবাদের নগ্ন ছোবলে আক্রান্ত মুসলিম বিশ্ব সন্তান প্রতিপালনে ইসলামের দিক নির্দেশনা রাসূল সা . এর ভালবাসা বনাম অবমাননা ব্যবসা বনাম সুদ : প্রেক্ষিত মুসলিম বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ : কারণ ও প্রতিকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মহানবী সা . এর অবদান আমাদের তারুণ্য : প্রসঙ্গ ফেইসবুক দারিদ্র্যতা একটি বিপদ, যাকাত মুক্তির রাজপথ ইয়াবার ভয়াল থাবা : টার্গেট বাংলাদেশ কুরআনের আলােকে রাসুল ( সা . )’র মর্যাদা ও অধিকার নারী : হিজাবের ছায়ায় ফিরে এসাে ইলমের মর্যাদা ও উলামায়ে দেওবন্দের অবদান ইসলামী সংস্কৃতি বনাম অপসংস্কৃতি ইত্যাদি আরও দেখুন দেওবন্দি ব্যক্তিত্বের তালিকা তথ্যসূত্র ১৯৭২-এ জন্ম দেওবন্দি ব্যক্তি মাতুরিদি ব্যক্তি হানাফী ব্যক্তি কক্সবাজার জেলার ইসলামি ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ বাংলাদেশী গবেষক বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ কক্সবাজার জেলার ব্যক্তি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার শিক্ষার্থী আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব সুন্নি ইসলামের পণ্ডিত হানাফি ফিকহ পণ্ডিত ২০শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত জীবিত ব্যক্তি বাংলাদেশী ইসলামপন্থী ২১শ শতাব্দীর বাঙালি ২১শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত বাংলাদেশী সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত
doc-2
লালাবাজার ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি ইউনিয়ন। অবস্থান ও সীমানা পূর্বে জালালপুর ইউনিয়ন। পশ্চিমে অলংকারী ইউনিয়ন ও তেতলী ইউনিয়ন। উত্তরে তেতলী ইউনিয়ন ও সিলাম ইউনিয়ন। দক্ষিণে দয়ামীর ইউনিয়ন ও বালাগঞ্জ উপজেলা। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সড়কপথে দূরত্ব ১৫ কি:মি:। ইতিহাস প্রশাসনিক এলাকা লালারগাও কাটাদিয়া ফুলদি শাহ সিকন্দর খতিরা। বিবিদইল। নাথপারা কুনামুরা। অকিয়ার চর। মোল্লার বন আয়তন ও জনসংখ্যা আয়তন- ২১.৬৩ বর্গ কি:মি। জনসংখ্যা-৩৬৩৮১ জন। শিক্ষা স্বাক্ষরতার হার লালাবাজার ইউনিয়নের স্বাক্ষরতার হার ৬৮% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার ১৩ টি বেসরকারী ০৩ টি কমিউনিটি ২ টি বেসরকারী ৫ টি কলেজের সংখ্যা ১ টি মাদ্রাসার সংখ্যা - আলীয়া ০১ টি, কওমী ২ টি, অন্যান্য ২ টি। দর্শনীয় স্থান ১।ফরিদপুর মাজার মসজিদ ২।বিবির মোকাম বিবিদইল ৩।বলদার হাওর। ৪।শেখ হাচিনা আবাস্থল ৫। তাল তলা,ফুলদি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হুশিয়ার আলী জনপ্রতিনিধি বর্তমান চেয়ারম্যান- পীর মো: ফয়জুল হক আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ইউনিয়ন
doc-3
কক ত্রিপুরা হলো ত্রিপুরার প্রথম ককবরক ভাষায় খবর চ্যানেল, ত্রিপুরার প্রথম ভাষাগত চ্যানেল হ'ল এটি, এই চ্যানেলটি অনেকগুলি সামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত থাকে। কমল কলই প্রতিষ্ঠা করেছেন কক ত্রিপুরাকে। কক ত্রিপুরার নীতিবাক্য ত্রিপুরার বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে অজানা লোকদের মধ্যে সচেতনতা আনতে। নক্সিনফ্লুয়েন্সার অনুসারে কক ত্রিপুরা মাসিক ৫৫১-১৪৭০ মার্কিন ডলার উপার্জন করেন। সহযোগী সাংবাদিকরা কমল কলই - পরিচালক ও প্রধান সাংবাদিক সইলেন কলই - ভিডিও সম্পাদক এবং অ্যাঙ্কর আরও দেখুন ককবরক লিপি আগরতলা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ইউটিউবে কক ত্রিপুরা ২০১৪-এ প্রতিষ্ঠিত টেলিভিশন চ্যানেল ও স্টেশন
doc-4
যাল শতাব্দীতে শিল্প এবং স্থাপত্যে বিশেষ এক মোড় নেয়। সেই সময়ের বিল্ডিংগুলি মূলত শিল্প ও কারুকার্যের মিশেলে সাজানো হত। ঐতিহাসিকভাবে, ওই শতাব্দীতে রেনেসাঁস আন্দোলনের প্রভাব অত্যন্ত স্পষ্ট ছিল, যা শিল্পীদের দার্শনিক ও সৃজনশীল চিন্তাধারায় নতুন মাত্রা যোগ করেছিল।
doc-5
এম. এ. বারী বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তৎকালীন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রাথমিক জীবন এম. এ. বারী বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক জীবন এম এ বারী তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তৎকালীন খুলনা-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তথ্যসূত্র সম্ভাব্য জীবিত ব্যক্তি জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) বাগেরহাট জেলার রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তি বাগেরহাট জেলার ব্যক্তি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
doc-6
বাংলাদেশী-কসোভান সম্পর্ক হ'ল বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যকার বৈদেশিক সম্পর্ক। বাংলাদেশ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ এ কসোভো প্রজাতন্ত্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। এক বছর পরে একই তারিখে, নিউইয়র্কের কসোভান কনসাল তিউতা সাহাতকিজা এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। স্বাধীনতার ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া ২০০৮ সালের ২৯ শে জুন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ। মরিয়ার্তির সাথে বৈঠককালে "বাংলাদেশ নতুন ইউরোপীয় দেশকে স্বীকৃতি দেবে" বলে নিশ্চিত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাসও দিয়েছিলেন যে "বাংলাদেশ লবিং করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এশীয় মুসলিম দেশগুলি কসোভোকে স্বীকৃতি দেবে। বাংলাদেশ কসোভোর উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখবে "। ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এবং মরিয়ার্তির মধ্যে বৈঠকের পরে, গণমাধ্যমকে বলা হয়েছিল যে কসোভো স্বীকৃতির প্রশ্নটি "বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় বিবেচনায়" রয়েছে। ২২ আগস্ট ২০০৯-এ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস বলেছিলেন, "এই মুহুর্তে আমরা কসোভোকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি না"। তিনি বলেছিলেন যে তার সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে "অনেকগুলি বিষয়" বিবেচনা করবে। "আমরা যদি কসোভোকে চিনতে পারি তবে আমরা অবশ্যই একদিকে নিচ্ছি। তবে আমরা যদি তা না করি তবে আমরা কারও পক্ষ নিচ্ছি না, "তিনি বলেছিলেন। ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির সাথে বৈঠকে কায়েস বলেছিলেন যে কসোভোকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে একটি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, দেশের জাতীয় স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে। মস্কোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করায় বাংলাদেশ এখনও কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়নি বলে জানা গেছে - রাশিয়া বাংলাদেশকে [কোসোভো] স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল। ২০১০ সালের ১৩ ই মে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি বলেছিলেন যে আন্তর্জাতিক আদালত বিষয়টি সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছার পরে কসোভোর স্বাধীনতার স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে তার দেশ সিদ্ধান্ত নেবে। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর আলবেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী সালি বেরিশা বলেছেন যে কসোভোকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১২ সালের এপ্রিলে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার পর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কসোভোকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, "আমরা এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং কসোভোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আপনি শীঘ্রই সুসংবাদ শুনতে পাবেন "। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি বলেছিলেন যে কসোভোর স্বীকৃতি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। স্বীকৃতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কসোভো প্রজাতন্ত্রকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে স্বাধীন রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ বিষয়ে কসোভানের প্রধানমন্ত্রী ঈসা মোস্তফার কাছে মৌখিক নোট পাঠান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তথ্যসূত্র বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
doc-7
সিম্পল ডেস্কটপ ডিসপ্লে ম্যানেজার (SDDM) হচ্ছে এক্স ১১ এবং ওয়েল্যান্ড উইন্ডো সিস্টেমের জন্য ডিসপ্লে ম্যানেজার (একটি গ্রাফিক্যাল লগইন প্রোগ্রাম)। এসডিডিএম স্ক্র্যাচ থেকে সি++১১ এ লেখা হয়েছে এবং কিউএমএলের মাধ্যমে থিমিং সমর্থন করে। এসডিডিএম হল মুক্ত এবং উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স সংস্করণ ২ বা তার পরবর্তী শর্তাবলী সাপেক্ষে। গ্রহণ ২০১৩ সালে, ফেডোরা কেডিই সদস্যরা ফেডোরা ২১-এ এসডিডিএমকে ডিফল্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কেডিই প্লাজমা ৫ এর জন্য কেডিই ডিসপ্লে ম্যানেজারের উত্তরসূরি হিসেবে এসডিডিএম-কে বেছে নিয়েছে। এসএক্সকিউটি ডেভেলপাররা ডিসপ্লে ম্যানেজার হিসেবে এসএসডিএমকে সুপারিশ করে। আরো দেখুন লাইটডিএম, লাইট ডিসপ্লে ম্যানেজার, আগে উবুন্টুর জন্য লিখিত, এখন স্বাধীন জিডিএম, গ্নোমের জন্য ডিফল্ট গ্রাফিক্যাল লগইন প্রোগ্রাম তথ্যসূত্র কেডিই সফটওয়্যার
doc-8
হিতেশ্বর শইকীয়া (; ) হলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দুইবার কার্যনির্বাহ করেছেন। তিনি মিজোরামের রাজ্যপাল হিসেবেও কার্যনির্বাহ করেছেন। সৈয়দা আনোয়ারা টাইমুর ও কেশব চন্দ্র গগৈর মন্ত্রীসভায় তিনি শিক্ষামন্ত্রীর পদে নিযুক্ত ছিলেন। জন্ম এবং বংশ পরিচয় ১৯৩৪ সনের ৩ অক্টোবরে শিবসাগর জেলার সাপেখাতির কাছাকাছি বগাবগ চা বাগানে হিতেশ্বর শইকিয়ার জন্ম হয়। তার পিতার নাম হলধর শইকিয়া এবং মাতার নাম খরগেশ্বরী শইকিয়া। তাদের ছয়টি সন্তান ছিল। তারা আহোম সম্প্রোদায়ের লোক ছিলেন। হলধর শইকিয়া বগাবগ চা বাগানের প্রধান কার্যালয়ে সহায়ক রূপে চাকরি করতেন। শিক্ষা ১৯৪৫ সনে হিতেশ্বর শইকিয়া দশ বছর বয়শে প্রাইমারি পর্যায়ের শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তার পর নাজিরা উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ে নাম ভর্তি করেন। ১৯৫৩ সনে তিনি নাজিরা হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা পরিক্ষায় উর্ত্তিণ্ণ হন। ১৯৫৫ সনে তিনি কটন কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে আ.ই. পরিক্ষায় উর্ত্তিণ্ণ হন। তারপর তিনি শ্বিলং-এর সেন্ট এডমান্ডস কলেজে নাম ভর্তি করেন। ১৯৫৭ সনে তিনি সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তারপর ১৯৬০ সনে তিনি লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়তে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। কর্মজীবন স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করার পর, ১৯৬০ সনের ৯ অক্টোবরে হিতেশ্বর শইকিয়া নাজিরা উচ্চতর মাধ্যমিক এবং বহুমুখী বিদ্যালয়ের শিক্ষক রূপে যোগদান করেন। নাজিরা এসোসিয়েটেড ক্লাব এবং নাজিরা নাট্য সমিতির সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি বরতলা উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ের সম্পাদক পদেও ছিলেন। নাজিরাতে একটি মহাবিদ্যালয়ের স্হাপনের জন্যও তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাছাড়া তিনি কিছুদিনের জন্য গড়গাঁও মহাবিদ্যালয়ের উপাধক্যরূপেও নিযুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবন ১৯৬৪ সনের ১৫ আগস্টে হিতেশ্বর শইকীয়া কংগ্রেজ দলে যোগদান করেন। প্রথমত, তিনি শিবসাগর জেলার যুব কংগ্রেজের সভাপতি এবং তারপর তিনি অসম প্রদেশ কংগ্রেজ কমিটির কার্যালয়ে সম্পাদকের দ্বায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭২ সনে হিতেশ্বর শইকীয়া প্রথমবার অসম বিধানসভায় নাজিরা বিধানসভা সমষ্টির থেকে নির্বাচিত হন। শরং চন্দ্র সিংহের নেতৃতাধীনে অসম মন্ত্রীসভায় তিনি গৃহ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জনসংযোগ বিভাগের রাজ্যিক পর্যায়ের মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। তারপর তিনি গৃহ দপ্তরের পূর্ণ পর্যায়ের মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৭৬ সনের শেষের দিকে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়ীত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তদোপরি সৈয়দা আনোয়ারা টাইমুর এবং কেশব চন্দ্র গগৈর মন্ত্রীসভাতেও তিনি শিক্ষামন্ত্রীর পদে নিযুক্ত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রথম কার্য্যকাল ১৯৮৩ সনে অনুষ্ঠিত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেজ বিজয়ী হয়। কংগ্রেজ দলের সর্বসন্মতিক্রমে হিতেশ্বর শইকীয়াকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮৩ সনের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণ করেন। তার সাথে সাথেই অসমে রাষ্ট্রপতি শাসনের অন্ত পরে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেই তিনি অসম আন্দোলনের সময় আশ্রয় শিবিরে থাকা সকলকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত তথা অসমকে স্বাভাবিক অবস্থায় ঘুরিয়ে আনবে বলে বেতার বার্তাযোগে প্রচার করে আশ্বাস দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে তিনি অসমে বৃদ্ধ পেন্শন, বেকার সমস্যা, শিক্ষিত বেকারদের আত্ম প্রতিষ্ঠার জন্য বেংকের ঋণ, চন্দ্রপুরে স্থায়ী রাজধানীর আধারশিলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কাজে হাত দিয়েছিলেন। তার সময়ে কোকরাঝার, ধুবড়ী, করিমগঞ্জ, বরপেটা, শোণিতপুর এবং যোরহাট- এই ছয়টি জেলা এবং বিশ্বনাথ চারিআলি, গোঁসাইগাঁও, রঙিয়া, মানকাছার, দক্ষিণ শোলমারা, ওদালগুরি, চরাইদেউ, হোজাই- এই আঠটি মহকুমা গঠন করা হয়। তদুপরি তার সময় ব্রহ্মপুত্রের ওপর দ্বিতীয়তম দলং নরনারায়ণ সেতুর আধারশিলা স্থাপন করা হয়েছিল। দ্বিতীয় কার্য্যকাল ১৯৯১ সনের ৩০ জুনে হিতেশ্বর শইকীয়া দ্বিতীয় বারের জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। এই সময়কালে তার নির্মিত সরকারে কোনো উন্নয়নমূলক এবং জনহিতকর কাজ কর্ম করেননি বলে জনসাধারণ অভিযোগ তুলেছিল। রাজ্যপালের পদ ১৯৮৫ সনে হিতেশ্বর শইকীয়া মিজোরামের রাজ্যপাল হিসাবে কার্যনির্বাহ করেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন হিতেশ্বর শইকীয়ার পত্নীর নাম ডঃ হেনপ্রভা শইকীয়া। তাদের তিনটি সন্তান: দেবব্রত, অশোক এবং গৌতম। সম্মান এবং পুরস্কার ১৯৮৩ সনে দিল্লীর রাষ্ট্রীয় সংহতি পরিষদে হিতেশ্বর শইকীয়াকে রাষ্ট্র মানব উপাধিতে সম্মানিত করা হয়। আক্রমণ হিতেশ্বর শইকীয়াকে দুই বার প্রাণ নাশ করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রথমবার ১৯৮১ সনের ১৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয়বার ১৯৮৩ সনের ১৯ নভেন্বরে। মৃত্যু ১৯৯৬ সনের ২২ এপ্রিল হিতেশ্বর শইকীয়ার দিল্লীর অল ইণ্ডিয়া ইনষ্টিটিউট অফ মেডিকেল কলেজে পরলোকপ্রাপ্তি হয়। তথ্যসূত্র ১৯৩৪-এ জন্ম ভারতীয় রাজনীতিবিদ ১৯৯৬-এ মৃত্যু আসামের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ ১৯৩৬-এ জন্ম কটন কলেজ, গুয়াহাটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী আসামের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী শিবসাগর জেলার ব্যক্তি মিজোরামের রাজ্যপাল আসাম বিধানসভার সদস্য ১৯৬৭-১৯৭২ আসাম বিধানসভার সদস্য ১৯৭২-১৯৭৮ আসাম বিধানসভার সদস্য ১৯৭৮-১৯৮৩ আসাম বিধানসভার সদস্য ১৯৮৩-১৯৮৫ আসাম বিধানসভার সদস্য ১৯৮৫-১৯৯১ আসাম বিধানসভার সদস্য ১৯৯১-১৯৯৬ আসামের রাজ্য মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী
doc-9
মেদিনীপুর (বিধানসভা কেন্দ্র) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এলাকা ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ২৩৬ নং মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি মেদিনীপুর পৌরসভা, চন্দ্র, ধেরুয়া, মনিদহ এবং তাঁতিগেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি মেদিনীপুর সদর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং বাঁকিবন্ধ, গড়মাল, কর্ণগড়, কাশিজোড়া এবং শাতপতী গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি শালবনি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এর অন্তর্গত। মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ৩৪ নং মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র এর অন্তর্গত। বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচনী ফলাফল ২০১৬ ২০১১ ১৯৭৭-২০০৬ ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, সিপিআইয়ের সন্তোষ রানা ২২৩ নং মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের রাম প্রসাদ তেওয়ারি কে পরাজিত করেন। অধিকাংশ বছরে প্রতিযোগিতাগুলিতে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কোণঠাসা করে ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বিজয়ী ও রানার্সকে উল্লেখ করা হচ্ছে। সিপিআইয়ের পূর্ণেন্দু সেনগুপ্ত ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের গৌরী ঘোষকে পরাজিত এবং ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের দীনেন রায়কে পরাজিত করেন। সিপিআইয়ের কামাক্ষা চরন ঘোষ ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের রাজ কুমার মিশ্রকে, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের সমীর রায়কে এবং ১৯৮২ সালে আইসিএসের সমীর রায়কে পরাজিত করেন। জনতা পার্টির বঙ্কিম বিহারী পাল ১৯৭৭ সালে সিপিআই এর কামাক্ষা ঘোষকে পরাজিত করেন। ১৯৫৭-১৯৭২ সিপিআই এর বিশ্বনাথ মুখার্জী ১৯৭২ এবং ১৯৭১ সালে জয়ী হন। সিপিআই এর কামাক্ষা চরণ ঘোষ ১৯৬৯ এবং ১৯৬৭ সালে জয়ী হন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের সৈয়দ শামসুল বারি জয়ী হন। কংগ্রেসের অঞ্জলি খান ১৯৫৭ সালে জয়ী হন। তথ্যসূত্র পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা কেন্দ্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনীতি
doc-10
ধর্মপাল সিং গুপ্ত (জন্ম: ২১ আগস্ট ১৯২৫, দুর্গ জেলা, মধ্য প্রদেশ) ভারতের ৯ম লোকসভার সদস্য ছিলেন। তিনি ছত্তিসগড়ের রাজনন্দগাঁও আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য ছিলেন। তথ্যসূত্র ১৯২৫-এ জন্ম সম্ভাব্য জীবিত ব্যক্তি ছত্তিশগড় বিধানসভার সদস্য ছত্তিশগড়ের লোকসভা সদস্য নবম লোকসভার সদস্য ছত্তিশগড়ের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ ১৯৯৭-এ মৃত্যু ছত্তিশগড়ের ভারতীয় জনতা পার্টির রাজনীতিবিদ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য ১৯৬৭-১৯৭২ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য ১৯৭৭-১৯৮০
doc-11
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) আবু বকর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি রূপান্তরিত টাইপ ০৫৩এইচ২ ফ্রিগেট যা ২০১৪ সালে যুক্ত হয়। ইসলামের ১ম খলিফায়ে রাশেদিন হযরত আবু বকর (রাঃ) এর সম্মানার্থে এটির নামকরণ করা হয়। ইতিহাস টাইপ ০৫৩এইচ২ এই ফ্রিগেটটি ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ সালে হুডং শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। যা ১৯৮৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর তারিখে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি'র পূর্ব সাগর নৌবহরে হুয়াংশি নামে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে উহু নামে আরেকটি ফ্রিগেট সহ এই ফ্রিগেটটিকে বিমুক্ত করে এবং সংস্কার করতে জিয়াঙ্গান পোতাঙ্গনে পাঠায়। প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে উক্ত জাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিকট বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর জাহাজটি বানৌজা আবু বকর নামে ১ মার্চ, ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়। বানৌজা আবু বকর ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল ২০১৪ পর্যন্ত, চীনের শানডং প্রদেশের কিংডাওতে ১৪তম পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌ সিম্পোজিয়াম এবং আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ-২০১৪ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সফরের সময়, জাহাজটি একটি শুভেচ্ছা মিশনে ক্লাং, মালয়েশিয়া, হংকং, সানিয়া, চীন এবং ফুকেট, থাইল্যান্ডের বন্দর পরিদর্শন করে। ১২ মার্চ, ২০১৫ সালে জাহাজটি ল্যাংকাউই ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এক্সিবিশন (লিমা-২০১৫) এ অংশ নিতে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ফেরার পথে জাহাজটি একটি শুভেচ্ছা মিশনে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দর পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে ৩১ মার্চ ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে আসে। জাহাজটি ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সাথে একটি বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক অনুশীলন কোঅপারেশন অ্যাফ্লোট রেডিনেস অ্যান্ড ট্রেনিং (ক্যারাট) এ অংশ নেয়। বানৌজা আবু বকর ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত একটি শুভেচ্ছা সফরে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর পরিদর্শন করে। ২০১৭ সালে, জাহাজটি একটি আপগ্রেডেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল যেখানে এর পুরানো চাইনিজ টাইপ ৩৫৪ সারফেস সার্চ রাডার এবং টাইপ ৫১৭এইচ-১ এয়ার সার্চ রাডারকে ইতালির তৈরি নতুন প্রজন্মের সেলেক্স ইএস ক্রোনোস নেভাল থ্রিডি মাল্টিফাংশন সি-ব্যান্ড এইএসএ রাডার দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এই নতুন রাডারের রেঞ্জ ২৫০ কিমি। বানৌজা আবু বকর বঙ্গোপসাগরের উত্তরাঞ্চলে ৪ থেকে ৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক মহড়া বঙ্গসাগর-২০২০ এ অংশগ্রহণ করে। বঙ্গোসাগর মহড়া শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত সামুদ্রিক সীমান্তে সমন্বিত যৌথ প্যাট্রোল (করপ্যাট-২০২০) মহড়ায় অংশ নেয়। বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো বানৌজা আবু বকর জাহাজটির দৈর্ঘ্য , প্রস্থ এবং গভীরতা । জাহাজটিতে রয়েছে ২টি টাইপ ১২ই ৩৯০ ভোল্ট ডিজেল ইঞ্জিন; ৭,৮৮৫ অশ্বশক্তি (৮৮০ কিলোওয়াট)। যার ফলে জাহাজটি সর্বোচ্চ গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটিতে অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স র‍্যাডার, অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, গোলানিক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট, র‍্যাডার জ্যামিং ব্যবস্থা রয়েছে। রণসজ্জা ফ্রিগেটটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সহ নানাবিধ অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। ফ্রিগেটটির রণসজ্জায় নিম্নোক্ত সমরাস্ত্র রয়েছে: ৪ কোষ বিশিষ্ট ২ টি সি-৮০২এ ক্ষেপণাস্ত্র। জাহাজ থেকে শত্রু জাহাজে বা ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ২২০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। ২টি 'পিজে ৩৩এ দ্বৈত ১০০ মিমি নেভাল গান' বা কামান যা সমুদ্র তটবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে কার্যকর কামান। ৪টি 'টাইপ ৭৬ দ্বৈত ৩৭ মিমি এএ গান' বা কামান যা সমুদ্র তটবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে কার্যকর কামান। ২টি ৫ টিউব বিশিষ্ট 'আরবিইউ-১২০০ এএসডাব্লিউ' রকেট লাঞ্চার ও ২টি 'ডেপথ চার্জ র‍্যাকস' যা নিমজ্জিত সাবমেরিনে আঘাত করতে পারে। ২টি ৬ ব্যারেল বিশিষ্ট 'মার্ক-৩৬ এসআরবিওসি' ডিকয় রকেট লঞ্চার যা শত্রু নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে। তথ্যসূত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ১৯৮৫-এর জাহাজ
doc-12
কবিগান বাংলা লোকসংগীতের একটি বিশেষ ধারা। এই ধারায় লোককবিরা প্রতিযোগিতামূলক গানের আসরে অংশগ্রহণ করে থাকেন। গায়ককে কবি হতে হয়। তিনি মুখে মুখে পদ রচনা করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সুরারোপ করে গেয়ে থাকেন। কবিগান পরিবেশনকারীদের বলা হয় কবিয়াল। কবিগান এর মূলত একাধিক দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা ("বাদাবাদি")। যেখানে একদল প্রশ্ন গান("চাপান") গাইবে এবং সেই গান শেষ হলে অপর দলটি তার জবাব গান("উতোর") গাইবে। শেষ পর্যন্ত গানের প্রশ্নোত্তরের টক্করে যে দল সবচেয়ে ভালো বিবেচিত হবে তারাই বিজয়ী হবে। প্রকৃতি কবিগান সাধারণত দুটি দলের দ্বারা গীত হয়। প্রত্যেকটি দলের নেতৃত্বে থাকেন একজন "কবিয়াল" বা "সরকার"। তার সহকারী গায়কদের বলা হয় "দোহার"। এঁরা সাধারণত নেতার কথাগুলিই পুনরাবৃত্তি করেন। কবিগান শুরু হয় "বন্দনা" বা "গুরুদেবের গীত"-এর মাধ্যমে। "বন্দনা" অংশটি সরস্বতী, গণেশ, জনতা ও শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয়। এটি কবিয়াল যেমন উপযুক্ত করেন, তেমনভাবে গান। এরপর রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক গান গাওয়া হয়। এটিকে কেউ কেউ "আগমনী" বলেন। এরপর চারটি বিষয়ভিত্তিক গান গাওয়া হয়ঃ "সখী সংবাদ", "বিরহ", "লহর" ও "খেউড়"। এরপর প্রতিযোগিতামূলক অংশটি শুরু হয়। কবিগানের আসরে এই অংশটিকে "কবির লড়াই"-ও বলা হয়। এই অংশে একজন গীতিকার-সুরকার মুখে মুখে গান বেঁধে অপর গীতিকার-সুরকারকে আক্রমণ করেন এবং তিনিও গানের মাধ্যমে সেই আক্রমণের প্রত্যুত্তর দেন। ইতিহাস সজনীকান্ত দাশ তার বাংলার কবিগান গ্রন্থে লেখেন, বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে প্রচলিত বিভিন্ন সাংগীতিক ধারার মিলনে কবিগানের জন্ম। এই ধারাগুলির নাম বহু বিচিত্র – তরজা, পাঁচালি, খেউড়, আখড়াই, হাফ আখড়াই, ফুল আখড়াই, দাঁড়া কবিগান, বসা কবিগান, ঢপকীর্তন, টপ্পা, কৃষ্ণযাত্রা, তুক্কাগীতি ইত্যাদি। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ও ড. হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের মতো খ্যাতনামা সাহিত্য গবেষকগণ কবিগান নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। ড. সুশীল কুমার দের মতে, অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে, এমনকি সপ্তদশ শতাব্দীতেও কবিগানের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু কবিওয়ালাদের প্রকৃত বিকাশকাল হল ১৭৬০ থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যবর্তী সময়। এই সময় বাংলা কাব্যের ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক উপাদানগুলি ফিকে হয়ে আসতে শুরু করেছিল। বাংলা কাব্যও বৈষ্ণব কবিতার ধারা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে মুদ্রণযন্ত্রের আবির্ভাব এই বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টাকে সার্থক করে তোলে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে পরবর্তী অর্ধশতাব্দীকাল নব্য কবিগান এবং পাঁচালি গান কলকাতা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করে যে সাহিত্যের অন্যান্য ধারাগুলির অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। পরবর্তীকালে কলকাতায় কবিগানের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেলেও গ্রামবাংলায় এর জনপ্রিয়তা কিছুমাত্র কমেনি। ড. সুশীল কুমার দে কবিওয়ালাদের প্রশংসাই করেছেন। তার মতে, এঁরা ছিলেন সমাজের নিচু তলার মানুষ। সমাজের নিচু তলার মানুষদের মধ্যেই ছিল এঁদের জন্ম ও বিচরণ। তাই এই সমাজের চিন্তাভাবনা অনুভূতিগুলি তারা ভালই বুঝতেন। আধুনিক সাহিত্যকার সমাজের যে অংশকে অশিক্ষিত মনে করে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন, সেই অংশে এঁদের জনপ্রিয়তা ছিল অবিসংবাদী। শব্দ-ব্যবহার মুখে মুখে রচিত হতো কবিগান যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি শ্রোতাদেরকে চমক লাগানো ও মনঃসংযোগের লক্ষ্যে এতে শব্দ-ব্যবহারের কলা-কৌশলও বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। একই শব্দ একাধিকবার অল্প ব্যবধান বা ব্যবধান ছাড়াই ব্যবহার করে ধ্বনিতরঙ্গ সৃষ্টি করা। একই শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা। ছন্দভঙ্গির পরিবর্তন করা। কবিয়াল একাধিক সংখ্যক কবিয়াল বা কবিওয়ালা জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। অষ্টাদশ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যবর্তীকালে কেবলমাত্র বীরভূম জেলাতেই শ তিনেক খ্যাতনামা কবিয়াল বিদ্যমান ছিলেন। এঁদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন কবিয়াল ছিলেন গোঁজলা গুঁই (আনু. ১৭০৪ - ?)। তার রচিত একটিমাত্র গান ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। খুব সম্ভবত তিনি পেশাদার কবির দল গঠন করতে পেরেছিলেন। টপ্পা রীতিতে ও টিকারা-সংগীতে কবিগান করতেন। তার শিষ্য লালু–নন্দলাল, কেষ্টা মুচি, রঘুনাথ দাস ও রামজি থেকেই অষ্টাদশ শতাব্দী এবং পরবর্তীতে বিখ্যাত কবিয়ালদের উদ্ভব হয়। শোনা যায় রঘুনাথ দাস দাঁড়া-কবির প্রবর্তক। ঊনবিংশ শতাব্দীর কলকাতার বিখ্যাত কবিয়ালরা ছিলেন হরু ঠাকুর (১৭৪৯–১৮২৪), নিত্যানন্দ বৈরাগী (১৭৫১–১৮২১), রাম বসু (কবিয়াল) (১৭৮৬–১৮২৮), ভোলা ময়রা, যজ্ঞেশ্বরী দাসী, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি ও ভবানী বণিক। বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের কবিয়ালরা হলেন বলহরি দে (১৭৪৩–১৮৪৯), শম্ভুনাথ মণ্ডল (১৭৭৩-১৮৩৩), তারকচন্দ্র সরকার (১৮৪৫–১৯১৪), রমেশচন্দ্র শীল (১৮৭৭–১৯৬৭), রাজেন্দ্রনাথ সরকার (১৮৯২–১৯৭৪), বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী (১৯০৩–১৯৮৫), স্বরূপেন্দু সরকার (১৯৩৩-২০০৯) এবং গৌতম মজুমদার (১৯৭৪-২০১৯) সাতু রায়, ঠাকুরদাস চক্রবর্তী। চারণকবি মুকুন্দ দাস প্রকৃতপক্ষে ছিলেন একজন কবিয়াল। বালিকা বধূ নামে এক বাংলা চলচ্চিত্রে তার চরিত্রটি চিত্রিত হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে মুকুন্দ দাসের গান কীভাবে জনসাধারণকে প্রভাবিত করেছিল, তাও এই চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত হয়েছে। এক বিখ্যাত কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি ছিলেন জন্মসূত্রে পর্তুগিজ। তার জীবনী অবলম্বনে দুটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। একটি ছবিতে 'অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি'র নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা উত্তম কুমার। অপর ছবিটির নাম জাতিস্মর, তাতে কবিয়াল এন্টনির ভূমিকায় ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ঊনবিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় কবিয়াল ভোলা ময়রা গায়ক হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তার গানে শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো হয়ে থাকত। এই জাতীয় জনপ্রিয় বিনোদন অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ভোলা ময়রার বিশেষ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, "বাংলাকে জাগাতে যেমন রামগোপাল ঘোষের মতো বাগ্মী, হুতোম প্যাঁচার মতো আমুদে লোকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন ভোলা ময়রার মতো লৌকিক গায়কদের।" এঁর জীবন অবলম্বনেও ভোলা ময়রা নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। মুদ্রণ জগতে প্রবেশ কবিওয়ালাগণ মুখে মুখে কবিতা বলেছেন ঠিকই; কিন্তু কখনোই এগুলো লিখে রাখেননি। লক্ষ্যণীয় যে, ঐসময় কোন ছাপাখানাও ছিল না। তাছাড়াও তাদের সমর্থক কিংবা পৃষ্ঠপোষকগণও কখনো কবিগান সংগ্রহ করার কথা ভাবেননি বা চিন্তা করেননি। তৎকালীন সমাজ জীবনে উৎসব-আনন্দের প্রয়োজনে কবিগানের আসর বসতো। এবং এ আসর বসার মাঝেই ছিল কবিগানের সার্থকতা ও সফলতা। ১৮৫৪ সালে সর্বপ্রথম কবি ঈশ্বর গুপ্ত কবিগান সংগ্রহ করা আরম্ভ করেন। এগুলো পরবর্তীতে তিনি সংবাদ প্রভাকর পত্রিকার পাতায় প্রকাশ করতে শুরু করেন। উল্লেখ্য, প্রাচীন সংবাদ প্রভাকর পত্রিকাটি ছিল কবি ঈশ্বর গুপ্তেরই সংবাদপত্র। এভাবেই পত্রিকাটির মাধ্যমে কবিগানের বিস্তৃতি ঘটতে শুরু করে। আরো দেখুন রমেশ শীল মুকুন্দ দাস অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি তথ্যসূত্র বাঙালি সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি পল্লীগীতি পশ্চিমবঙ্গের লোকসংগীত বাংলাদেশের লোকসংগীত বাংলাদেশী সংস্কৃতি বাংলা কাব্য সঙ্গীতের ভারতীয় ধরন
doc-13
জমিন হল বলিউডের একটি চলচ্চিত্র। এটি ১৯৪৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ভারতীয় সাদাকালো চলচ্চিত্র ১৯৪০-এর দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র ভারতীয় চলচ্চিত্র ১৯৪৩-এর চলচ্চিত্র হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র
doc-14
সার্জিও লুইজ পরেরা অধিক পরিচিতি সার্জিও কাটো হিসাবে (জন্ম: ১৫ জুলাই, ১৯৬০) হলেন একজন ব্রাজিলীয় অভিনেতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং কৌতুকাভিনেতা। স্কেলা রিও তে একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রিও দি জেনেরিওতে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পরে। তারপর থেকেই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচারণা, টিভি অনুষ্ঠান এবং ছায়াছবিতে তিনি কাজ করতে শুরু করেন। সার্জিও কাটো সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় এবং বর্তমান ফুটবল প্রশিক্ষক মাজারপির ভাই। পেশা প্রারম্ভিক জীবন রিও দি জেনেরিওতে অবস্থিত Teatro O Tablado নামক একটি থিয়েটার থেকে তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন এবং সেখানেই তিনি পড়াশুনা ও কাজ চালিয়ে যান। ১৯৮২ সালে ব্রাজিলীয় এয়ার ফোর্সে যোগদান করেন এবং ১৯৮৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। এখানে তিনি প্রথমে ক্যালিফোর্নিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি অধ্যয়ন করার পর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। সিনেমা এবং টিভি কর্মজীবন সার্জিও কাটোর প্রথম সিনেমা হল ১৯৮৪ সালের Bete Balanço যেখানে তিনি একজন নর্তকীর অভিনয় করেন। ব্যালে শিল্পী থেকে তিনি একজন অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন যা সম্পন্ন হয়েছিল Brenda Starr নামক সিনেমার দ্বারা যেখানে তিনি ব্রুক সিল্ডের সাথে একজন গাড়ি চালক হিসাবে অভিনয় করেন। পরবর্তিতে I Might Even Love You নামক সিনেমাতে তিনি একজন মদ পরিবেষক হিসাবে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রের তালিকা টেলিভিশন চলচ্চিত্র ফটো গ্যালারি তথ্যসূত্র ১৯৬০-এ জন্ম জীবিত ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাজিলীয় অভিবাসী মার্কিন টেলিভিশন অভিনেতা মার্কিন পুরুষ মডেল ক্যালিফোর্নিয়ার অভিনেতা
doc-15
সাধ বৈষ্ণববাদ বা মধ্ব বৈষ্ণববাদ বা ব্রহ্মসম্প্রদায় হিন্দুধর্মের বৈষ্ণব ঐতিহ্যের মধ্যে একটি। সাধ বৈষ্ণববাদ ত্রয়োদশ শতাব্দীর দার্শনিক মধ্বাচার্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। ঐতিহ্যটি প্রাচীন বেদ ও পঞ্চরাত্র গ্রন্থে এর শিকড় খুঁজে পায়। মাধব সম্প্রদায় বা সাধ বৈষ্ণব সম্প্রদায়কে ব্রাহ্ম সম্প্রদায় বলা হয়, যা আধ্যাত্মিক গুরুদের উত্তরাধিকার সূত্রে ব্রহ্মা থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে উল্লেখ করে। মাধব চূড়ান্ত বাস্তবতাকে ব্যক্তিগত ও সগুণ ব্রহ্ম (গুণ সহ পরম) হিসাবে দেবতা বিষ্ণু (নারায়ণ)-কে সমর্থন করেছেন। তাই দেবতা বিষ্ণু তাঁর সহধর্মিণী  লক্ষ্মী সহ, এবং তাদের ঐশ্বরিক অবতার ও রূপকে এই ঐতিহ্যে শ্রদ্ধা করা হয় এবং পূজা করা হয়। সাধ বৈষ্ণবধর্মে, সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টির চেয়ে উচ্চতর, এবং তাই মোক্ষ শুধুমাত্র বিষ্ণুর কৃপা থেকে আসে, তবে একা প্রচেষ্টা থেকে নয়। সাধ বৈষ্ণবধর্ম জ্ঞানে, ভক্তি ও বৈরাগ্য হল মোক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং কর্ম করাকেও পূজার রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই সাধ বৈষ্ণবধর্মে, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও  কর্মযোগ শ্রী বৈষ্ণবধর্মের তুলনায় মোক্ষ অর্জনের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যেখানে মোক্ষ লাভের জন্য শুধুমাত্র ভক্তিযোগ যথেষ্ট। ব্যুৎপত্তি সাধ বৈষ্ণববাদ শব্দটি সাধ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যার অর্থ "সত্য" এবং হিন্দু দেবতা বিষ্ণু। মধ্ব শব্দটি ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠাতা মধ্বাচার্যের নাম থেকে এসেছে। সম্প্রদায় শব্দটি হিন্দুধর্মীয় ঐতিহ্যকে বোঝায়। এর অনুসারীরা সাধ বৈষ্ণব নামে পরিচিত। দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব সাধ বৈষ্ণববাদের দার্শনিক ভিত্তি মাধব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, যিনি অদ্বৈত বেদান্ত মঠে অচ্যুতপ্রেক্ষার সাথে তার বৈদিক অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। কিন্তু গুরু ও শিষ্যের মধ্যে ক্রমাগত মতবিরোধ ছিল এবং অধ্যয়ন শীঘ্রই শেষ হয়। যাইহোক, তিনি এই গুরুর হাতে পূর্ণপ্রজ্ঞা নামে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং আনন্দ তীর্থ নামে তাঁর ভাষ্য রচনা করেন। মধ্বাচার্য তার নিজের গুরু অচ্যুতপ্রেক্ষাকে দ্বৈতবেদান্তে রূপান্তরিত করেছিলেন, যেমন রামানুজ তার অদ্বৈত গুরু যাদবপ্রেক্ষাকে রূপান্তরিত করে গোবিন্দসুরে বিশিষ্টাদ্বৈত রেখেছিলেন। মাধব এই ঐতিহ্যে বৈদান্তিক ও উপনিষদিক ধারণা নিয়ে আসেন এবং হিন্দু ঐতিহ্যে দ্বৈতবেদান্ত নামে দ্বৈতবাদের উপর গ্রন্থ রচনা করেন। তার ধারণা হল বেদান্তের তিনটি উপদর্শনের একটি, বাকি দুটি আদি শঙ্করের অদ্বৈত বেদান্ত (পরম অদ্বৈত) এবং রামানুজাচার্যের বিশিষ্টাদ্বৈত (যোগ্য অদ্বৈতবাদ) নামে পরিচিত। মাধবের মতে, দিব্য ও আত্মা একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মাধবসম্প্রদায় বিষ্ণুকে সর্বোচ্চ হিন্দু দেবতা হিসেবে পূজা করে এবং মাধবকে সম্মান করে, যাকে তারা বিষ্ণুর পুত্র বায়ুর অবতার বলে মনে করে। মাধবধর্ম এই পৃথিবীতে বায়ুকে বিষ্ণুর প্রতিনিধি এবং হনুমান, ভীম ও মধ্বাচার্যকে তার তিন অবতার বলে মনে করে; এই কারণে, রামায়ণে হনুমানের এবং মহাভারতে ভীমের ভূমিকার উপর জোর দেওয়া হয়েছে, এবং মধ্বাচার্যকে বিশেষভাবে সম্মান করা হয়। অগণিত গ্রন্থে মাধব দ্বারা বায়ুকে বিশিষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। মধ্বাচার্য ছিলেন কট্টর বৈষ্ণব যিনি হিন্দু দেবতাদের মধ্যে বিষ্ণুই সর্বোচ্চ এই বিশ্বাসকে জোর দিয়েছিলেন, এবং অন্য হিন্দু দেবতারা সমানভাবে সর্বোচ্চ হতে পারে এমন কোনো দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করেন। মধ্বাচার্য বলেন যে আদিতে একজনই দেবতা ছিলেন এবং তিনি ছিলেন নারায়ণ বা বিষ্ণু। মধ্বাচার্য বলেছেন যে চূড়ান্ত ঐশ্বরিক বাস্তবতা, যাকে হিন্দু ঐতিহ্যগুলি ব্রহ্ম হিসাবে উল্লেখ করে এবং জীবাত্মা নামে পরিচিত পৃথক আত্মাগুলি স্বাধীন বাস্তবতা হিসাবে বিদ্যমান এবং এগুলি স্বতন্ত্র। মাধব বলেছেন "ব্রহ্মশব্দশ্চ বিষ্ণবেব", যে ব্রহ্ম শুধুমাত্র বিষ্ণুকে উল্লেখ করতে পারেন। মধ্বাচার্যের মতে, বিষ্ণু কেবল অন্য কোন দেব ছিলেন না, বরং তিনিই এক এবং একমাত্র পরম সত্তা ছিলেন। "যথেচ্চাসি তাথা কুরু" এর উপর মাধব আরও জোর দেন, যা শর্মা অনুবাদ করে ব্যাখ্যা করেছেন "সঠিক ও ভুলের মধ্যে বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে, প্রতিটি ব্যক্তি তার নিজের দায়িত্ব ও নিজের ঝুঁকি থেকে বেছে নেয়"। মাধবসম্প্রদায়ে, বিষ্ণু, লক্ষ্মী, ব্রহ্মা, বায়ু, সরস্বতী, শিব, পার্বতী, সুব্রহ্মণ্য ও গণেশ সহ সমস্ত দেবতাকে "তারতম্য বেধ" অনুসারে পূজা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, মধ্বাচার্য তাঁর তন্ত্র সারসংগ্রহে দেবতার পূজা পদ্ধতি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার অনেক রচনায় মধ্বাচার্য শিবতত্ত্ব, পঞ্চমুখী শিব (রুদ্র) পূজা করার পদ্ধতি এবং পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র—ওঁ নমঃ শিবায় এবং স্পষ্টভাবে শিব উপাসনার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। মাধবসম্প্রদায়ের অনেক বিশিষ্ট সাধক ও পণ্ডিত শিবের উপর স্তোত্র, স্তুতি ও গান লিখেছেন। ব্যাসতীর্থ রচিত "লঘু শিব স্তূতি", নারায়ণ পণ্ডিতাচার্য  শিবস্তূতি এবং সত্যধর্মতীর্থ শ্রী রুদ্রম এর উপর ভাষ্য লিখেছেন। ভারতবিদ বি. এন. কে. শর্মা বলেছেন যে মাধবসম্প্রদায় শিবের উপাসনার বিরোধী নন। শর্মা বলেছেন, মধ্বাচার্যের বৈষ্ণববাদ অন্যান্য দেবতা যেমন শিব, পার্বতী, গণেশ, সুব্রহ্মণ্য এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপাসনার ক্ষেত্রে বেশি সহনশীল ও মানানসই। এই কারণেই কণক দাস যদিও তার প্রথম জীবনে তথাচার্যের প্রভাবে শিব ইত্যাদি উপাসনার বিরুদ্ধে শ্রী বৈষ্ণব মতবাদে সম্পূর্ণভাবে সন্মত হননি এবং পরে ব্যাসতীর্থের শিষ্য হয়েছিলেন। মাধব শঙ্করের নির্গুণ ব্রহ্ম-এর ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেন—অর্থাৎ, বৈশিষ্ট্যহীন ব্রহ্ম—এবং সগুণ ব্রহ্ম—অর্থাৎ বৈশিষ্ট্যযুক্ত ব্রহ্ম—কে চূড়ান্ত ঐশ্বরিক বাস্তবতা হিসেবে গ্রহণ করেন। মাধব দর্শনে, ব্রহ্ম সমস্ত ইতিবাচক গুণাবলীর অধিকারী; এগুলোর মূলে রয়েছে অস্তিত্ব, চেতনা ও আনন্দ। একজন নৈর্ব্যক্তিক ব্রহ্ম, যেমন শঙ্করের নির্গুণ ব্রহ্ম এই কাজগুলি সম্পাদন করতে পারে না। মাধবের জন্য, ব্যক্তিগত ব্রহ্ম বিষ্ণুর থেকে আলাদা নয়, যাকে বৈষ্ণবরা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, রক্ষণাবেক্ষণকারী ও ধ্বংসকারী বলে মনে করেন। মাধব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, কিছুই ব্রহ্মকে শর্ত দিতে পারে না। মাধবের মতে, ব্রহ্ম ন্যায় দর্শনের সীমিত অসীম ঐশ্বরিক বাস্তবতা নয় বা রামানুজের দর্শনের মতো বস্তু ও নিজের সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কযুক্ত নয়। বরং, ব্রহ্মকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হিসাবে দেখা হয়, কিন্তু জীবদের কার্যকলাপ, জ্ঞান ও অস্তিত্বের জন্য ব্রহ্মের উপর নির্ভরশীল হিসাবে দেখা হয়। বৈষ্ণব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, বিষ্ণু তাঁর ইচ্ছায় জগৎ সৃষ্টি করেন এবং বস্তু ও আত্মের জগতকে অস্তিত্বে আনেন। বস্তু ও আত্মা, যদিও একে অপরের কাছে বাস্তব ও অপরিবর্তনীয়, তারা ব্রহ্মের উপর নির্ভরশীল। জগৎ বিলুপ্তির সময়, বস্তু ও বস্তুগুলিকে ব্রহ্ম দ্বারা বিচ্ছিন্ন বুদ্ধিতে রূপান্তরিত করে এবং নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন বুদ্ধিতে রূপান্তরিত বলে মনে করা হয়; এটা বিশ্বাস করা হয়, এমনকি দ্রবীভূত অবস্থায়ও, ব্রহ্ম, পদার্থ ও জীব একে অপরের থেকে স্বতন্ত্র থাকে এবং একে অপরের সাথে মিশে যায় না। টীকা তথ্যসূত্র উৎস আরও পড়ুন বহিঃসংযোগ Dvaita.org Tatvavada বৈষ্ণব সম্প্রদায় মাধব ঐতিহ্য হিন্দু সম্প্রদায় দ্বৈত বেদান্ত বৈষ্ণব উপসম্প্রদায়
doc-16
রবার্ট মিলার কবে জন্মানো হয়েছিল? রবার্ট মিলার, যিনি একজন প্রসিদ্ধ চিত্রশিল্পী ছিলেন, তিনি ১৯১০ সালের ২৩ মার্চ কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার কর্মজীবন অভিজ্ঞতা বিশেষত প্রকৃতি ও মানব প্রেক্ষাপটের মধ্যে সৌন্দর্য চিত্রায়নে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় ছিল। তার শিল্পকর্ম বিভিন্ন মিউজিয়াম ও প্রিভেট কালেকশনে সংরক্ষিত রয়েছে। তার যৌবনের পর্বে, মিলার অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীর সাথে তার অন্তরঙ্গ সংযোগ তুলে ধরার নানা চিত্রকর্ম সৃষ্টি করা তার প্রিয় কাজ ছিল। কুইন্সল্যান্ডের মাউন্ট ইসা মাইনিং এলাকায় কাজ করার সময় খনিজ বস্তুর উপর আঁকা প্রাথমিক চিত্রকর্মগুলো তাঁর প্রথম পেশাদারি পরিচিতি দেয়। মিলার তার পূর্ণ যৌবনে বিভিন্ন আর্ট গ্যালারি ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন এবং তার কিছু বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলি শিল্পপ্রেমীদের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন আর্ট ফেয়ারে তাঁর সর্বশেষ প্রদর্শনীতে তাঁর কাজের বিষয়বস্তুর সূক্ষ্মতা ও ব্যাখ্যা সমসাময়িক শিল্পরীতির অগ্রণী দিক হিসেবে উল্লেখিত হয়ে আসে। রবার্ট মিলারের সৃষ্টিগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী, পুরানো ভবন, উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর বিস্তারিত আঁকায় তার প্রতিভা অসামান্য ছিল। তাঁর শেষজীবনে সৃষ্ট চিত্রকর্মগুলো মূলত ঐতিহাসিক বিষয় ও চরিত্রগুলোর পুনরুজ্জীবন প্রকৃতিস্থানীয়করণে নিবদ্ধ ছিল। মিলারের শিল্পকর্মগুলিতে সারল্য এবং গভীরতার সমন্বয় তাঁকে এক বিশেষ মর্যাদায় নিয়ে এসেছে। রবার্ট মিলারের মৃত্যু ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তাঁর নিজ শহর ব্রিসবেনে ঘটে। তাঁর শিল্পজীবনী অস্ট্রেলিয়ার আর্ট হিস্টোরির এক অনন্য অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
doc-17
লোনাওয়ালা () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে লোনাওয়ালা শহরের জনসংখ্যা হল ৫৫,৬৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে লোনাওয়ালা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। পরিবহন লোনাওয়াল রেলওয়ে স্টেশন তথ্যসূত্র মহারাষ্ট্রের শহর মহারাষ্ট্রের পার্বত্য স্টেশন মহারাষ্ট্রে পর্যটন
doc-18
হরিনছড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Acraea terpsicore) এক প্রজাতির প্রজাপতি, যাদের মূল শরীর এবং ডানা বাঘ রঙের ও তাতে কালো ফুটকি এবং ছোপযুক্ত। এরা ‘নিমফ্যালিডি’ পরিবারের সদস্য। আকার প্রসারিত অবস্থায় হরিনছড়ার ডানার আকার ৫০-৬৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। বিস্তার সাধারণত এই জাতীয় প্রজাপতিটি সমগ্র ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। এছাড়া হিমালয়ের ৬৫০০ ফুট উচ্চতা অব্দি এদের দেখা যায়। নেপাল ও শ্রীলঙ্কা, সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র দেখা যায়। এরা একটু খোলামেলা ফাঁকা জায়গা পছন্দ করে। হরিনছড়ারা সাধারনত রুক্ষ-শুষ্ক খোলা প্রান্তর ঝোপে, লতা গুল্মের জঙ্গলে অথবা জলের ভেজা পুকুর ধারের মাটিতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বর্ণনা এই প্রজাপতির উভয় ডানা বাঘ রঙের এবং ডানার পার্শ্বপ্রান্তে কালো পাড়। পিছনের ডানায় এই পাড় বেশি চওড়া আবার পাড়ের ওপর সাদা সাদা ফুটকি দেখা যায়। সামনের ডানা বেশ লম্বা এবং শীর্ষ গোলাকার। এই গোলাকার ভাবটা পিছনের ডানাতে বেশি ভালো বোঝা যায়। মাথা ও বুকে কালোর ওপর সাদা ফুটকি দেখা যায়। হরিনছড়ার শরীর থেকে একরকম দুর্গন্ধযুক্ত হলুদ তৈলাক্ত তরল বের হয় তাই কয়েকটি জাতের বিশেষ খাদকরা ছাড়া অন্যান্য খাদকরা এদের খায় না। যৌন মিলনের পর স্ত্রী প্রজাপতির উদরের শেষ প্রান্তে কাঁটার মতো শক্ত গোঁজ তৈরী হয় দেখতে অনেকটা সামনের দিকে মুখ বাঁকানো গোলাপের কাঁটার মতো, যার ফলে স্ত্রী প্রজাপতি পুনরায় যৌন মিলনে সক্ষম হয় না। আচরণ এদের ওড়ার ভংগি ধীর এবং দূর্বল প্রকৃতির। মাটির কাছাকাছিতে এরা উড়তে থাকে। ফুলের মধুর প্রতি এদের আসক্তি দেখা যায়। বৈশিষ্ট্য ডিম হরিনছড়ার ডিম হলুদ বর্ণের এবং ঈষৎ লম্বাটে গম্বুজের মতো আকৃতির হয় এবং মাথাগুলি গোল হয়। সাধারণত এরা পাতার নিচের পিঠে এর একবারে ১৫-২০টা ডিম পাড়ে। এর থেকেও বেশি সংখ্যার ডিম অনেক সময় লক্ষ্য করা যায়। শূককীট শূককীট গুলি লম্বাটে এবং লালচে বাদামি রঙের হয়, শরীরের নিচের দিকের রঙ পীতাভ সাদা। এদের সারা দেহখন্ডে লম্বা লম্বা কাঁটা থাকে,যেগুলো রোঁয়া যুক্ত ও শাখাযুক্ত হয়। আহার্য উদ্ভিদ এই শূককীট বিভিন্ন প্রজাতির প্যাশন ফ্লাওয়ার যেমন- ঝুমকোলতা Passiflora foetida, Passiflora edulis, Passiflora subpeltata ইত্যাদি পাতার রসালো অংশ ও কচি পাতা আহার করে। মূককীট মূককীট এর রঙ সাদা এবং তার গায়ে কালো রেখা ও ফুটকি দেখা যায়। আকৃতি লম্বাটে। পিঠের দুই পাশ ঘেঁষে ফ্যাকাশে লাল বা কমলা রঙের বিন্দু সারি দিয়ে থাকে। এরা মূককীট অবস্থায় গাছের পাতার নিচের দিকে, ডালে, শুকনো কাঠিতে ঝুলে থাকে। চিত্রশালা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ভারতের প্রজাপতি পশ্চিমবঙ্গে প্রাপ্ত নিমফ্যালিডি গোত্রের প্রজাপতি এশিয়ার প্রজাপতি ১৭৫৮-এ বর্ণিত প্রজাপতি কার্ল লিনিয়াস কর্তৃক নামকরণকৃত ট্যাক্সা
doc-19
ভূতের বাচ্চা সোলায়মান মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একটি শিশুতোষ কল্পকাহিনী যা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের পূর্বেই ২০০৬ সালে একই নামের একটি নাটক এনটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৩রা মার্চ মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হত্যাপ্রচেষ্টা চালানোর কারণ হিসেবে আক্রমণকারী এই বইটির কথা উল্লেখ করে। প্রধান চরিত্রগুলো নিতু দবির, নিতুর মধ্যপ্রাচ্য ফেরত চাচা সোলায়মান, ভূতের বাচ্চা গল্প সংক্ষেপ গল্পের প্রধান চরিত্র নীতু। নীতুর দূরসম্পর্কের চাচা 'দবির' মধ্যপ্রাচ্য থেকে নীতুদের বাসায় বেড়াতে আসে। তিনি ছোটদের দেখতে পারে না এমনকি মেয়েদের পড়ালেখা নিয়ে কটুবাক্য করে। এছাড়াও দেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিভিন্নভাবে হেয় করতে দবির চাচা সর্বদা বদ্ধ পরিকর। দবির চাচাকে শিক্ষা দিতে নীতু আর তার চাচাতো ভাই-বোনেরা প্লানচ্যাটে বসে ভূত ডাকতে। তাদের ডাকে একটি বাচ্চা ভূত সাড়া দেয়। এই বাচ্চা ভূতটির নামই হল সোলায়মান। সোলায়মান নীতুদের ডাকে আসলেও আর নিজে নিজে ফিরে যেতে পারেনা। এদিকে নীতুর দবির চাচা বাচ্চা ভূতের ব্যাপারটি জানতে পেরে সোলায়মানকে বিদেশী টিভি চ্যানেলের কাছে বিক্রি পায়তারা করে। এই পরিকল্পনা মোতাবেক নীতুকে আটকে ভূতের বাচ্চা সোলায়মানকে অপহরণও করে। নীতুর চাচাতো ভাই-বোনেরা নীতুকে উদ্ধার করে আবার প্লানচ্যাটে বসে। ভূতের বাচ্চা সোলায়মানের মা এসে এবার তাকে নিয়ে যায়। দবির যাদের কাছে ভূতের বাচ্চা বিক্রির ফন্দি করেছিল তারা এসে দবিরকে গণধোলাই দেয়। নামকরণ বিতর্ক ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাপ্রচেষ্টা বইটি প্রকাশের পরপরই এর নামকরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আনেন। বইটির নিষিদ্ধকরণ দাবির পাশাপাশি এবং লেখককেও ব্যক্তিগত আক্রমণ হতে থাকে। বাংলাদেশি নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ অনেককেই সেই সময় এইসব সমালোচনার পাল্টা উত্তর দিতে দেখা গেছে। ২০১৮ সালের ৩রা মার্চ মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাপ্রচেষ্টাকারী, ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল ঘটনাস্থলে ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী ফয়জুর লেখকের উপর আক্রমণের কারণ হিসেবে এই বইয়ের কথা উল্লেখ করলে বইটি আবার আলোচনায় আসে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ গুডরিডসে ভূতের বাচ্চা সোলায়মান রকমারিতে ভূতের বাচ্চা সোলায়মান ২০১৭-এর বই মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই
doc-20
উদালগুড়ি শহরের ইতিহাস এবং পর্যটন স্থল সম্পর্কে একটি গভীর দৃষ্টিপাত উদালগুড়ি, আসাম রাজ্যের একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক শহর, যা তার অনন্য সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য খ্যাত। ভারতের আসাম রাজ্যের মানচিত্রে এই শহরের অবস্থান অনেক পর্যটক ও ইতিহাসপ্রেমীদের চোখে পড়ে। উদালগুড়ির আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন ধরণের পাহাড়, নদী ও প্রাকৃতিক পর্যটন স্থল রয়েছে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। শহরের ইতিহাসের পাতায়, উদালগুড়ির ঐতিহাসিক স্থানসমূহ যেমন প্রাচীন মন্দির, দুর্গ ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের স্মারক বিভিন্ন যুগের কাহিনী বলে দেয়। এই শহর বরাক উপত্যকা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর কোলে গড়ে উঠা একটি শান্ত ও ছায়াঘেরা স্থান। উদালগুড়ি সম্পর্কে পর্যটন তথ্য বলতে গেলে, এখানে কিছু প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির আছে যা বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের নকশায় বানানো হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর সাথে সাথে নীতি ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটের মিল পাওয়া যায় এখানকার নির্মাণ শৈলীতে। এছাড়াও এখানে বহু পুরানো চা বাগানের সারি দেখে অনেকে মুগ্ধ হন, যা বিশ্বের চা উৎপাদন শিল্পে উদালগুড়িকে একটি বিশেষ স্থান দি দেয়। এই শহরের নৈসর্গিক পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পারিস্থিতিক পর্যটনের উন্নয়নে স্থানীয় সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও মিলেমিশে কাজ করে চলেছে। প্রাকৃতিক রিজার্ভ, উদ্যান ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণালয় শহরটিতে পর্যটকদের অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। পর্যটনের পাশাপাশি উদালগুড়ি তার শিল্প ও হস্তশিল্পের জন্যও পরিচিত। বাঁশ ও বেত থেকে তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য, হস্তনির্মিত তাঁত কাপড় ও বুনন শিল্পের নানান নিদর্শন উদালগুড়িতে দেখা যায়। এগুলোর হস্তশিল্প মেলা এবং উৎসবগুলি বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে যা শিল্পীদের পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতাকে উদযাপন করে। সব মিলেই উদালগুড়ি একটি বহুমুখী ও বহুমাত্রিক শহর যা ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রাকৃত সৌন্দর্য এবং আধুনিকতা সবকিছুর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। এই শহরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য যা কিনা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হিসেবে গণ্য হয়।
doc-21
১৮৫ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৮৫
doc-22
মিহির রঞ্জন হালদার (জন্ম: ১৯৬১) একজন বাংলাদেশী প্রকৌশলী ও শিক্ষাবিদ। তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান উপাচার্য। জন্ম তিনি ১৯৬১ সালে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার পারবটিয়াঘাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হরেন্দ্র নাথ হালদার ও মায়ের নাম সুন্দরী হালদার। শিক্ষাজীবন মিহির রঞ্জন হালদার তৎকালীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), রাজশাহী থেকে ১৯৮২ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব স্ট্র্যাথক্লাইড থেকে ১৯৯১ সালে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর থেকে ২০০২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবন মিহির রঞ্জন হালদার ১৯৮৪ সালে তৎকালীন বিআইটি, রাজশাহীতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে একই পদে যোগ দেন বিআইটি, খুলনায়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৮৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০২ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও ২০০৪ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। কর্মজীবনে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন, একাধিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষার্থী হলের প্রভোস্ট, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ), কুয়েটের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, রুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মিহির রঞ্জন হালদার ২০২২ সালে পরবর্তী চার বছরের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। প্রকাশনা দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে তার ৪০টির বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যসূত্র ১৯৬১-এ জন্ম খুলনা জেলার ব্যক্তি বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ বাংলাদেশী প্রকৌশলী আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তন শিক্ষার্থী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
doc-23
{{Infobox country | latd = 53 | latm = 55 | latNS = N | longd = 27 | longm = 33 | longEW = E | conventional_long_name = বেলারুশ প্রজাতন্ত্র | native_name = | image_flag = Flag of Belarus.svg | image_coat = Coat of arms of Belarus (official).svg | common_name = বেলারুশ | symbol_type = জাতীয় প্রতীক | national_anthem = | image_map = Europe-Belarus.svg | map_caption = | capital = মিন্‌স্ক | largest_city = রাজধানী | official_languages = | ethnic_groups = {{unbulleted list | ৭৬.৭% বেলারুশীয় | ১০.০৬℅ বৌদ্ধ' | ৫.৩% রুশী | ৩.১% পোল | ১.৭% ইউক্রেনীয় | ০.১% তাতার | ০.১% ইহুদী | ৩.০% অন্যান্য }} | demonym = বেলারুশীয় | government_type = Unitary presidential republic | leader_title1 = রাষ্ট্রপতি | leader_name1 = আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো | leader_title2 = প্রধানমন্ত্রী | leader_name2 = আন্দ্রেই কোবিকোভ | legislature = জাতীয় অধিবেশন | upper_house = প্রজাতন্ত্র পরিষদ | lower_house = | sovereignty_type = গঠন | sovereignty_note = | established_event1 = Principality of Polotsk | established_date1 = ৯৮৭ | established_event2 = লিথুয়ানিয়ার গ্র্যান্ড ডিউক | established_date2 = প্রায় ১২৩৬ | established_event3 = পোলিশ-লিথুয়েনীয় কমনওয়েলথ | established_date3 = ১লা জুলাই ১৫৬৯ | established_event4 = রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে রাজ্যভুক্ত | established_date4 = ১৭৯৫ | established_event5 = রুশ সাম্রাজ্যের থেকে স্বাধীন; বেলারুশিয়ান গণপ্রজাতন্ত্রী | established_date5 = ২৫শে মার্চ ১৯১৮ | established_event6 = লিথুয়েনীয়-বেলোরুশিয়ান এসএসআর | established_date6 = ১৭ই ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ | established_event7 = বেলোরুশিয়ান এসএসআর | established_date7 = ৩১শে জুলাই ১৯২০ | established_event8 = পশ্চিমা বেলারুশের সোভিয়েত আত্মসাৎ | established_date8 = ১৫ই নভেম্বর ১৯৩৯ | established_event9 = রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ঘোষণা | established_date9 = ২৭শে জুলাই ১৯৯০ | established_event10 = | established_date10 = ২৫শে আগস্ট ১৯৯১ | established_event11 = স্বাধীনতা স্বীকৃত | established_date11 = ২৬শে ডিসেম্বর ১৯৯১ | established_event12 = বর্তমান সংবিধান | established_date12 = ১৫ই মার্চ ১৯৯৪ | area_km2 = 207595 | area_rank = ৮৫তম | area_sq_mi = 80155 | percent_water = 1.4% () | population_estimate = 9,498,700 | population_estimate_year = ২০১৬ | population_census_rank = ৮৭তম | population_density_km2 = 45.8 | population_density_rank = ১৪২তম | population_density_sq_mi = 120.8 | GDP_PPP = $১৬৪.৮৩৭ বিলিয়ন | GDP_PPP_year = ২০১৬ | GDP_PPP_rank = | GDP_PPP_per_capita = $১৭,৪৪০ | GDP_PPP_per_capita_rank = | GDP_nominal = $৪৫.৮৮৭ বিলিয়ন | GDP_nominal_year = ২০১৬ | GDP_nominal_rank = | GDP_nominal_per_capita = $৪,৮৫৫ | GDP_nominal_per_capita_rank = | Gini = 26.5 | Gini_year = ২০১১ | Gini_change = decrease | Gini_ref = | Gini_rank = ১১তম | HDI = 0.798 | HDI_year = ২০১৪ | HDI_change = increase | HDI_ref = | HDI_rank = ৫০তম | currency = New Belarusian rubled | currency_code = BYN | time_zone = FET | utc_offset = +৩ | date_format = dd.mm.yyyy | drives_on = ডান | calling_code = +৩৭৫ | cctld = | footnote_a = | footnote_b = | footnote_c = | footnote_d = Replaced the Belarusian ruble (BYR) on 1 July 2016. | continent = ইউরোপ | Dependency Ratio_year = ২০১৪ | Dependency Ratio = ২০ | Dependency Ratio_ref = }}বেলারুশ (, বিয়েলারুস্য্‌;), সরকারী নাম বেলারুশ প্রজাতন্ত্র (Рэспубліка Беларусь রেস্‌পুব্‌লিকা বিয়েলারুস্য্‌‌), মধ্য পূর্ব ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত প্রজাতন্ত্র। এর উত্তরে ও পূর্বে রাশিয়া, দক্ষিণে ইউক্রেন, পশ্চিমে পোল্যান্ড, এবং উত্তর-পশ্চিমে বাল্টিক প্রজাতন্ত্র লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়া। বেলারুশ মূলত অরণ্য (দেশের এক-তৃতীয়াংশ), হ্রদ ও জলাভূমিতে পূর্ণ একটি সমতল ভূমি। বেলারুশের প্রায় ৯৯ লক্ষ লোকের ৮০%-ই জাতিগতভাবে বেলারুশীয়; অন্যান্য জাতির মধ্যে পোলীয়, রুশ ও ইউক্রেনীয় উল্লেখযোগ্য। তিন-চতুর্থাংশ জনগণ নগর অঞ্চলে বাস করেন। দেশের মধ্যভাগে অবস্থিত মিন্‌স্ক রাজধানী ও বৃহত্তম নগর। অন্যান্য বড় শহরগুলির মধ্যে আছে ব্রেস্ত, হ্রোদনা, হোমিয়েল, মোগিলেফ, ভিতেভ্‌স্ক এবং বাব্‌রুইস্ক। ১৯৯৫ সালের একটি গণভোটের মাধ্যমে রুশ ও বেলারুশ ভাষা দেশের সরকারি ভাষা। রুশ অর্থডক্স খ্রিস্টধর্ম দেশের মানুষের প্রধান ধর্ম। বেলারুশে একটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পিত অর্থনীতি বিদ্যমান; সরকার নিয়ন্ত্রিত ভারী শিল্পকারখানাগুলি এই অর্থনীতির চালিকাশক্তি, তবে কৃষিও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। মধ্যযুগ থেকে বেলারুশ অঞ্চলটি বিভিন্ন বিদেশী শাসনের অধীনে ছিল। এদের মধ্যে আছে পোল্যান্ডের ডিউক রাজত্ব, লিথুয়ানিয়ার ডিউক রাজত্ব, এবং পোলীয়-লিথুয়ানীয় কমনওয়েলথ। ১৮শ শতকে এটিকে রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কেবল মধ্য-১৯শ শতকে এসে বেলারুশে জাতীয়তাবাদী ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটে। ১৯১৯ সালে বেলোরুশীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে বেলারুশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২২ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের চারটি প্রতিষ্ঠাকারী রাষ্ট্রের একটি ছিল। ১৯৩০ সালে ২য় পোলীয় প্রজাতন্ত্রের বেলারুশ জাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলি আধুনিক সীমান্তের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বেলারুশীয় ভূমিগুলির সম্পূর্ণ একত্রীকরণ সংঘটিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেশটির প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়; এ সময় বেলারুশের এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যার মৃত্যু ঘটে এবং দেশটি অর্ধেকেরও বেশি অর্থনৈতিক সম্পদ হারায়। যুদ্ধপরবর্তী বছরগুলিতে বেলারুশ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠে। এটি জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাষ্ট্রগুলির একটি ছিল। ১৯৯১ সালের ২৭শে জুলাই বেলারুশের আইনসভা দেশটির সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেন। আগস্ট মাসে দেশটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং এর মাধ্যমে ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে ভূমিকা রাখে। বর্তমান বেলারুশ সরকার একটি রাষ্ট্রপতিভিত্তিক প্রজাতন্ত্র। ১৯৯৪ সাল থেকে আলেক্সান্দর লুকাশেঙ্কো দেশটির রাষ্ট্রপতি। বেলারুশ ও রাশিয়াকে একত্রিত করে একটি মাত্র রাষ্ট্র রুশ ও বেলারুশ ইউনিয়ন করার ব্যাপারে ১৯৯৬ সাল থেকে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা চলছে। ইতিহাস রাজনীতি বেলারুশের রাজনীতি''' একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দ্বিকাক্ষিক আইনসভার উপর ন্যস্ত। তবে রাষ্ট্রপতি আইনের মতই অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যকর অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা রাখেন। বেলারুশের দুটি বড় দলের নাম হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক দল ও গণ ফ্রন্ট। এছাড়াও সেখানে আরও কিছু ছোট দলও রয়েছে। প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল পূর্ব ইউরোপের স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র বেলারুশ মূলত একটি সমতল ভূমি যার কোন প্রাকৃতিক সীমানা নেই। দেশের মধ্যভাগে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর-পূর্বে চলে গেছে বেলারুশ পর্বতশ্রেণী। দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা জনবিরল অরণ্যে আবৃত। প্রায় ৩ হাজার নদী ও প্রায় ৪ হাজার হ্রদ দেশটির ভূগোলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অর্থনীতি জনসংখ্যা বেলারুশ এবং রুশ ভাষা বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের সরকারি ভাষা। এর মধ্যে বেলারুশীয় ভাষাতে প্রায় ৯৮% জনগণ কথা বলে। ১০% লোক রুশ ভাষাতে কথা বলতে পারে। পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পোলীয় এবং জার্মান ভাষার প্রচলন আছে। সংস্কৃতি তথ্যসূত্র আরও দেখুন বহিঃসংযোগ সরকারী বেলারুশের ই-সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেলারুশের দূতাবাস Global Integrity Report: Belarus has information on Belarus anti-corruption efforts. বেলারুশের সরকার বৈদেশিক মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রপতির সরকারি ওয়েবসাইট সংবাদ এবং গণমাধ্যম বেলারুশীয় টেলিগ্রাফ সংস্থা- খবর, ঘটনা, ঘটনা Minsk Post | Daily diary of Belarus বেলারুশ সংবাদ বেলারুশের মিডিয়া বেলারুশের সংবাদ বেলারুশ থেকে রাজনীতি এবং সংবাদ সাধারণ তথ্য বেলারুশের প্রজাতন্ত্রের আধিকারিক ওয়েবসাইট Belarus at UCB Libraries GovPubs'' Belarus Miscellany প্রথম বেলারুশীয় শিল্প গ্যালারি বেলারুশের ভার্চুয়াল সহায়িকা The World Bank in Belarus FAO Country Profiles: Belarus মানচিত্র বেলারুশ, topographic map সাধারণ পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা, বেলারুশের পিডিএফ মানচিত্র ডাউনলোডযোগ্য ইউরোপের রাষ্ট্র প্রজাতন্ত্র ১৯৯১-এ প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ও অঞ্চল জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র স্বাধীন রাষ্ট্রের কমনওয়েলথের সদস্য রাষ্ট্র যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র ইউরেশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র রুশ ভাষী দেশ ও অঞ্চল একাধিক দাপ্তরিক ভাষা সহ ইউরোপের দেশ স্থলবেষ্টিত দেশ সার্বভৌম রাষ্ট্র
doc-24
আনন্দ জেলা পশ্চিম ভারতের গুজরাত রাজ্যের একটি প্রশাসনিক জেলা এবং এ জেলা চারোটার নামে বেশি পরিচিত। এটি ১৯৯৭ সালে খেদা জেলা থেকে বিভক্ত করে সৃষ্টি হয়। আনন্দ শহর এ জেলার সদরদপ্তর। এর উত্তরে খেদা জেলা, পূর্বে ভাডোদাড়া জেলা, পশ্চিমে আহমেদাবাদ জেলা এবং দক্ষিণে খাম্ভাত উপসাগর দ্বারা বেষ্টিত। এ জেলার প্রধান শহরগুলি হল খাম্বাত, করমসাদ, তারাপুর, পেটলাদ এবং সোজিত্রা। জনসংখ্যা ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে আনন্দ জেলার জনসংখ্যা হল ২,০৯,২৬ জন (মোট পুরুষ ১,০৮৮,২৫৩ এবং মোট মহিলা ১,০০২,০২৩), যা ম্যাসেডোনিয়া রাষ্ট্রের জনসংখ্যার সমান বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের সমান। এটি আনন্দ জেলাকে ভারতে ২১৯তম জনবহুল জেলায় স্থান দিয়েছে (ভারতের মোট ৬৪০টি জেলার মধ্যে)। এ জেলাতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭১১ জন (প্রতি বর্গমাইলে ১৮৪০ জন)। ২০০১-২০১১ এর দশকে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১২.৫৭%। আনন্দ জেলার লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০,০০০ পুরুষের বিপরীত ৯২১ জন মহিলা এবং শিক্ষার হার ৮৫.৭৯% (পুরুষ ৯৩.২৩% এবং মহিলা ৭৭.৭৬%)। প্রশাসনিক আনন্দ জেলা প্রশাসনিকভাবে আটটি উপজেলা বা মহকুমায় বিভক্ত: আনন্দ, অঙ্কলভ, বোর্সাদ, খাম্বাত, পেটলাদ, সোজিত্রা, তারাপুর এবং উমরেথ। তথ্যসূত্র গুজরাতের জেলা
doc-25
রোমান পুরাণে জ্ঞান ও চারুশিল্পের দেবী হিসেবে মিনার্ভা পূজিত হতেন। ইংরেজি বা রোমান ভাষায় Minerva। (; ; Etruscan: Menrva) গ্রিক পুরাণের দেবী অ্যাথিনার সমতূল্য দেবী মিনার্ভা। জ্ঞান, প্রজ্ঞা, যু্ক্তি, সাহিত্য, কারুশিল্প এবং বিজ্ঞান, প্রতিক্ষা এবং সমর কৌশলের দেবী। প্রতীক: পেঁচা এবং জলপাই গাছ। জিউস ও ওসেনিড মেটিসের কন্যা, এথেনা সম্পূর্ণ যুদ্ধসাজে তার বাবার মাথা থেকে জন্ম লাভ করেন। তথ্যসূত্র রোমান পুরাণের চরিত্র যুদ্ধের দেবী শিল্পকলার সাথে যুক্ত দেবী জ্ঞানের দেবী
doc-26
লক্ষ্মণ (সংস্কৃত: लक्ष्मण, IAST ) হলেন হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের একটি চরিত্র। তিনি রামের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। কোনো কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ে লক্ষ্মণকেও অবতার বা রামের অপর রূপ মনে করা হয়। আবার কোনো কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ে তাকে শেষনাগের অবতার মনে করা হয়। অযোধ্যার রাজা দশরথের কনিষ্ঠা মহিষী সুমিত্রার দুই যমজ পুত্র হলেন লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্ন। তিনি রামের অত্যন্ত অনুগত ছিলেন। বিশ্বামিত্র রাক্ষসবধের জন্য রামকে আমন্ত্রণ জানালে লক্ষ্মণ তার সঙ্গী হন। পরবর্তীকালে, তিনি রামকে পিতার আদেশের বিরুদ্ধে বনগমনে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু রাম বনবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে, লক্ষ্মণও তার সঙ্গে বনে যান। বনবাসকালে তিনি একাধারে রামের ভাই, বন্ধু ও সহায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন। লঙ্কার যুদ্ধে তিনি রাবণের পুত্র মেঘনাদকে বধ করেন। বনবাসের শেষে রাম অযোধ্যার রাজা হলে লক্ষ্মণ তার মন্ত্রী নিযুক্ত হন। উত্তরকাণ্ডে রাম সীতাকে নির্বাসিত করলে, লক্ষ্মণ তাকে বাল্মীকির তপোবনে রেখে আসেন। রামচন্দ্র যখন কালপুরুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন লক্ষ্মণ দ্বাররক্ষীর ভূমিকা পালন করেন। এই সময় দুর্বাশা ঋষি রামের সাক্ষাৎপ্রার্থী হলে, তিনি কাউকে রামের কাছে যেতে না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে দুর্বাসাকে রামের কাছে নিয়ে যান। প্রতিজ্ঞাভঙ্গের অপরাধে রাম তাকে পরিত্যাগ করলে, তিনি সরযূ নদীর তীরে যোগাবলম্বে দেহত্যাগ করেন। ণ হলেন এমন এক মহাপুরুষ যিনি মহাপরাক্রমশালী রাবণপুত্র মেঘনাদকে বধ করেন। মেঘনাদের এমন বর ছিল যে, যে ব্যক্তি ১৪ বছর না খেয়ে, না ঘুমিয়ে ব্রহ্মচর্য্য পালন করবেন তিনিই শুধু মেঘনাদকে বধ করতে পারবেন। বনবাসের সময় ১৪ বছর শ্রীরামের ভ্রাতা লক্ষণ এই মহা কঠিন কার্য ও শক্তি অর্জন করেন, ফলস্বরূপ তিনি রামায়ণের যুদ্ধে রাবণের পুত্র মেঘনাদকে বধ করেন। লক্ষ্মণ সীতার কনিষ্ঠা ভগিনী ঊর্মিলাকে বিবাহ করেন। তার দুই পুত্রের নাম ছিল অঙ্গদ ও ধর্মকেতু। কথিত আছে, লখনউ শহরটি (বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী) লক্ষ্মণ প্রতিষ্ঠা করেন। চিত্রশালা পাদটীকা বহিঃসংযোগ Lakshman as described in the Bhagavata Purana Lakshman described in the Caitanya Caritamrita রঘুবংশ রামায়ণের চরিত্র শালাকাপুরুষ হিন্দু দেবতা সূর্য রাজবংশ
doc-27
ডাইক্যালসিয়াম সাইট্রেট একটি রাসায়নিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত C6H6Ca2O7। এটি সাইট্রিক অ্যাসিডের ক্যালসিয়াম লবণ। ধর্ম ডাইক্যালসিয়াম সাইট্রেট একটি সাদা রঙের কঠিন পদার্থ। এর স্ফটিকে সাধারণত তিন অণু সোদক জল থাকে। এটি একটি গন্ধহীন পদার্থ। বেশির ভাগ স্ফটিক জল ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বের হয়ে আসে। ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুরো জলই বের হয়ে যায়। এই লবণটি ঠাণ্ডা জলের থেকে গরম জলে বেশি দ্রাব্য, তবে অ্যলকোহলে অদ্রাব্য। ব্যবহার ওষুধ শিল্পে ডাইক্যালসিয়াম সাইট্রেট ব্যবহার করা হয়। তথ্যসূত্র ক্যালসিয়াম যৌগ অ্যাসিড লবণ সাইট্রেট
doc-28
লন্ডন লুটন বিমানবন্দর (আইএটিএ: এলটিএন, আইসিএও: ইজিজিডাব্লু) বা পূর্বে লুটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ার কাউন্টির লুটন টাউন সেন্টারের ১.৫ মাইল (২.৪ কিমি) পূর্বে ও কেন্দ্রীয় লন্ডন থেকে ২৮ মাইল (৪৫ কিমি) উত্তরে অবস্থিত। বিমানবন্দরের মালিকানা লুটন বরো কাউন্সিলের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সংস্থা লুটন বিমানবন্দর লিমিটেডের (এলএলএল) কাছে র‍য়েছে এবং এটি ‘লন্ডন লুটন এয়ারপোর্ট অপারেশনস লিমিটেড’ (এলএলএল) দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমান বিমানবন্দরের স্থানে ১৯৩৮ সালের ১৬ জুলাই একটি বিমানবন্দর খোলা হয়। বিমানবন্দরটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল এয়ার ফোর্সের যোদ্ধারা ব্যবহার করেন। লুটনে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ ও সাধারণ বিমান চালনার প্রশিক্ষণ ১৯৫২ সালে আবার শুরু হয়। লুটন বিমানবন্দর ১৯৬০-এর দশকের মধ্যে প্যাকেজ ছুটির ব্যবসায়ের উন্নয়নে মূল ভূমিকা পালন করে; যুক্তরাজ্য থেকে ১৯৬৯ সালে সমস্ত ছুটির উড়ানের পাঁচটির মধ্যে একটি লুটন বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। নির্বাহী বিমান ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে বিমানবন্দরে ঘাঁটি তৈরি করে। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে প্রতি বছরে যাত্রী সংখ্যা ৫ মিলিয়ন হয়, যার ফলে লুটনে একটি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা শুরু করা হয়; যদিও বিমানবন্দরে ১৯৮০-এর দশকে যাত্রীদের সংখ্যা হ্রাস পায়। বিমানবন্দরের রাজধানীর সান্নিধ্যের উপর জোর দেওয়ার জন্য ১৯৯০ সালে বিমানবন্দরটির নামকরণ লন্ডন লুটন বিমানবন্দর করা হয়। লুটনে ১৯৯০-এর দশকে নতুন বিমান সংস্থারগুলির আগমন ঘটে, যেমন চুক্তি ভিত্তিক উড়ান পরিচালনাকারী মাইট্রাভেল গ্রুপ এবং দেবোনার ও ইজিজেট দ্বারা পরিচালিত নতুন স্বল্প মূল্যে নির্ধারিত উড়ানগুলি যাত্রীদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিতে অবদান রাখে, যা এটিকে যুক্তরাজ্যের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান প্রধান বিমানবন্দরে পরিণত করে। বিমানবন্দরের £৮০ মিলিয়নের সম্প্রসারণের জন্য ১৯৭৯ সালের আগস্ট মাসে লন্ডন লুটন বিমানবন্দর অপারেশনস লিমিটেড নামে একটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের কনসোর্টিয়ামকে ৩০ বছরের ছাড়ের চুক্তি প্রদান করা হয়। লুটনের অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধাগুলিতে নব্বইয়ের দশক জুড়ে £৩০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করা হয়। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে £৪০ মিলিয়ন ব্যয়ে নির্মিত একটি নতুন টার্মিনাল চালু করেন; নতুন ভবনে ৬০ টি চেক-ইন ডেস্ক, ব্যাগেজ ও উড়ানের তথ্য ব্যবস্থা এবং বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক আউটলেট রয়েছে। বিমানবন্দরটির মাধ্যমে ২০১৮ সালে ১৬.৫ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রী চলাচল করে, যা লুটনকে যুক্তরাজ্যের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর পরিণত করে। এটি লন্ডন অঞ্চলে হিথ্রো, গ্যাটউইক ও স্ট্যানস্টেডের পরে চতুর্থ বৃহত্তম বিমানবন্দর এবং লন্ডন সিটি ও লন্ডন সাউথএন্ডের সাথে লন্ডনের ছয়টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি। বিমানবন্দরটি ইজিজেট, টিইউআই এয়ারওয়েজ, রায়ানএয়ার এবং উইজ এয়ারের ঘাঁটি হিসাবে কাজ করে এবং এর আগে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে কার্যক্রম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মনার্ক এয়ারলাইন্সের ঘাঁটি হিসাবে কাজ করে। বিমানবন্দর থেকে প্রদত্ত রুটের বেশিরভাগ অংশই ইউরোপের অভ্যন্তরে অবস্থিত, যদিও উত্তর আফ্রিকা ও এশিয়ার গন্তব্যগুলির জন্য কয়েকটি চুক্তি ভিত্তিক ও নির্ধারিত উড়ানের রুট রয়েছে। বিমানবন্দরটি এম১ মোটরওয়ের ‘জংশন ১০’ থেকে দুই মাইল দূরে অবস্থিত। কেন্দ্রীয় লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস স্টেশন থেকে লুটন বিমানবন্দর পার্কওয়ে রেলওয়ে স্টেশনর মধ্যে চলাচলকারী দ্রুততম ট্রেনগুলি পউচ্ছাতে পৌঁছাতে ২৪ মিনিট ও গড়ে ৪০ মিনিট সময় নেয়। রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর টার্মিনালের মধ্যে একটি ১০ মিনিটের শাটল-বাস পরিষেবা রয়েছে; এটি লুটন ডার্ট অটোমেটেড পিপল মুভারের দ্বারা ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ লুটন বিমানবন্দর লন্ডন অঞ্চলের বিমানবন্দর পূর্ব ইংল্যান্ডের বিমানবন্দর
doc-29
শিরিনা ফরহাদি (ফারসি: سارینا فرهادی) একজন ইরানি অভিনেত্রী। তিনি পারিসা বখতাভার ও একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক আসগর ফরহাদির কন্যা। ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ২০১১ সালে, তার বাবার ফিল্ম এ সেপারেশন (চলচ্চিত্র) চরিত্রে টেরমেহ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এ সেরা অভিনেত্রীর জন্য ২০১১ সালে সিলভার বিয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া একই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পাম স্প্রিংস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে লীলা হাতামি এবং সারাহ বায়াত সাথে সেরা অভিনেত্রী হিসাবে যৌথভাবে ফিফরেস পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। চলচ্চিত্র পশত-ই কনকুরিহা (২০০২) দায়েরে জঙ্গি (২০০৮) এ সেপারেশন (চলচ্চিত্র) (২০১১) আরও দেখুন ইরানের চলচ্চিত্র বহিঃসংযোগ তথ্যসূত্র ১৯৯৮-এ জন্ম ইরানি অভিনেত্রী জীবিত ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে রৌপ্য ভল্লুক বিজয়ী ইরানি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ১৯৯৭-এ জন্ম তেহরানের অভিনেত্রী
doc-30
খোদাবাদি বা খুদাবাদি একটি লেখন পদ্ধতি যা সিন্ধি ভাষা লিখতে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ভারতীয় সিন্ধিরা এই লিপির ব্যবহার করেন। ইতিহাস বৃত্তান্ত বর্ণমালা ইউনিকোড তথ্যসূত্র ব্রাহ্মী লিপি সিন্ধি ভাষার বহিঃসংযোগ থাকা নিবন্ধ সিন্ধি ভাষা আইএসও ১৫৯২৪ চার-বর্ণের কোডসহ লিপি দাদু জেলা সিন্ধুর সংস্কৃতি
doc-31
আমেরিকা একটি ২০২২ সালের রোমান্টিক ড্রামা চলচ্চিত্র যা ওফির রাউল গ্রেইজার লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন। এই চলচ্চিত্রটি একজন সাঁতার প্রশিক্ষককে কেন্দ্র করে, যিনি তার বাবার মৃত্যুর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে ফিরে আসেন এবং তার শৈশবের বন্ধুর বাগদত্তা, যিনি একজন ফুল চাষী তাকে নিয়েই মূল কাহিনি। কার্লোভি ভ্যারি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রতিযোগিতায় প্রদর্শিত হয়েছিল, যেমনটি হয়েছিল গ্রেইজারের আগের ছবি দ্য কেকমেকার, ৫ জুলাই ২০২২-এ। এটি ২০২২ সালের জুলাই মাসে জেরুজালেম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রতিযোগিতায় প্রদর্শিত হয়েছিল। অভিনয় আইরিসের চরিত্রে ওশরাত ইঙ্গদাশেট এলি চরিত্রে মাইকেল মোশোনভ ইয়োটামের চরিত্রে অফরি বিটারম্যান মতির চরিত্রে মনি মশোনভ ওড়নার চরিত্রে ইরিত শেলেগ ডাঃ মার্গারিটা চরিত্রে ইভলিন শাফির রুবা ব্লাল আসফোর ডাঃ রুবা চরিত্রে লুকাস হেনরি ক্রোপাট জোশ চরিত্রে মশিকো চরিত্রে অর বাটবুল উৎপাদন গ্রেজার শিকাগোতে চলচ্চিত্রটির ধারণা করেছিলেন যখন তিনি প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন যখন দ্য কেকমেকার একটি উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছিল। গ্রেইজারের মতে, আমেরিকা শিরোনামটি "আকাঙ্ক্ষার জায়গা" এবং "একটি দূরের স্বপ্নের" প্রতীক যা তিনি ১৯৮০-এর দশকে ইস্রায়েলে বেড়ে ওঠার সময় দেখেছিলেন। ছবিটি ২০২০ সালে তেল আবিব এবং বার্লিনে শ্যুট করা হয়েছিল৷ গ্রেজারের স্বামী ড্যানিয়েল কসো, একজন উৎপাদন ডিজাইনার এবং ফুলের বিক্রেতা, ডিজাইন করেছেন ফুলের দোকান। তথ্যসূত্র ২০২২-এর চলচ্চিত্র জার্মান প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র ২০২০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র বার্লিনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র ইসরায়েলে ধারণকৃত চলচ্চিত্র ২০২২-এর বহুভাষিক চলচ্চিত্র
doc-32
হেনরি জন ডয়েটশেন্ডোর্ফ, জুনিয়র (ইংরেজি: Henry John Deutschendorf, Jr.) (ডিসেম্বর ৩১, ১৯৪৩ – অক্টোবর ১২, ১৯৯৭)) পেশাগতভাবে জন ডেনভার হিসেবে পরিচিত, ছিলেন একজন আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা, সক্রিয়তাবাদী ও মানবতাবাদী, যিনি ১৯৭০ সাল থেকে একজন একক গায়ক হিসেবে সর্বশ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করেন। প্রাথমিক জীবন কর্মজীবন ব্যক্তিগত জীবন পুরস্কার ও স্বীকৃতি দেশাত্ববোধক গানের জন্যে একাডেমি ১৯৭৪ বছরের সেরা অ্যালবাম - "ব্যাক হোম এগেইন" আমেরিকান সংগীত পুরস্কার ১৯৭৫ পছন্দের পপ/রক পুরুষ শিল্পী ১৯৭৬ পছন্দের দেশাত্ববোধক অ্যালবাম - ব্যাক হোম এগেইন ১৯৭৬ পছন্দের দেশাত্ববোধক পুরুষ শিল্পী কান্ট্রি মিউজিক এসোসিয়েশন ১৯৭৫ বছরের সেরা বিনোদনকারী ১৯৭৫ বছরের সেরা গান - "ব্যাক হোম এগেইন" এমি পুরস্কার ১৯৭৫ অসামান্য বিভিন্নতার জন্যে এমি, সংগীত বা কমেডি বিশেষ - "এন ইভিনিং উইথ জন ডেনভার" গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড ১৯৯৭ শিশুদের জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত অ্যালবাম - অল এ্যবোর্ড! ১৯৯৮ গ্র্যামি হল অব দ্য ফেম পুরস্কার - "টেক মি হোম, কান্ট্রি রোডস" সংরাইটারস হল অফ ফেম ১৯৯৬ সালে অভিষিক্ত অন্যান্য স্বীকৃতি পোয়েট লরিয়েট - কলোরাডো, ১৯৭৭ পিপল’স চয়েজ পুরস্কার, ১৯৭৭ আমেরিকার বিশিষ্ট দশ তরুণ পুরুষ, ১৯৭৯ কার্ল স্যান্ডবুর্গ'স পিপল'স পয়েট পুরস্কার, ১৯৮২ নাসা পাবলিক সার্ভিস মেডেল, ১৯৮৫ আলবার্ট সুয়েইটার সংগীত পুরস্কার, ১৯৯৩ ডিস্কোগ্রাফি জন ডেনভার সিংস্‌ (১৯৬৬) রাইমস্‌ এ্যন্ড রিসনস্ (১৯৬৯) টেক মি টু টুমোরো (১৯৭০) হুজ গার্ডেন ওয়াজ দিস (১৯৭০) পয়েমস্‌, প্রেয়ার্স এ্যন্ড প্রমিসেস (১৯৭১) এরি (১৯৭১) রকি মাউন্টেন হাই (১৯৭২) ফেয়ারওয়েল এন্ডরোমেডা (১৯৭৩) বেক হোম এগেইন (১৯৭৪) এন ইভিনিং উইথ জন ডেনভার (মুক্তি ১৯৭৫, রেকর্ডকৃত ১৯৭৪) উইন্ডসং (১৯৭৫) রকি মাউন্টেন ক্রিসমাস (১৯৭৫) স্প্রিট (১৯৭৬) আই ওয়ান্ট টু লাইভ (১৯৭৭) জন ডেনভার (১৯৭৯) জন ডেনভার এ্যন্ড দ্য মাপেটস্‌: এ ক্রিসমাস টুগেদার (১৯৭৯) অটোগ্রাফ (১৯৮০) সাম ডেস আর ডাইমন্ডস (১৯৮১) সিসনস্‌ অব দ্য হার্ট (১৯৮২) ইট'স এবাউট টাইম (১৯৮৩) ড্রিমল্যান্ড এক্সপ্রেস (১৯৮৫) ওয়ান ওয়ার্ল্ড (১৯৮৬) হাইয়ার গ্রাউন্ড (১৯৮৮) আর্থ সংস্‌ (১৯৯০) দ্য ফ্লাওয়ার দ্যাট শাটার্ড দ্য স্টোন (১৯৯০) ডিফরেন্ট ডিরেকশনস (১৯৯১) অল এবোর্ড! (১৯৯৭) চলচ্চিত্র তালিকা নির্বাচিত লেখা দ্য চিল্ডরেন এ্যন্ড দ্য ফ্লাওয়ারস (১৯৭৯) আলফি দ্য ক্রিসমাস ট্রি (১৯৯০) টেক মি হোম: এ্যন অটোবায়োগ্রাফি (১৯৯৪) পয়েমস, প্রয়োরস এ্যন্ড প্রমিসেস: দ্য আর্ট এ্যন্ড সোল অফ জন ডেনভার (২০০৪) তথ্যসূত্র উৎস Flippo, Chet (1998) "John Denver", The Encyclopedia of Country Music, Paul Kingsbury, Editor, New York: Oxford University Press. p. 143. Martin, James M. (1977) John Denver: Rocky Mountain Wonderboy, Pinnacle Books. (Out of print) Biography of Denver with insight into Denver's impact of the 1970s music industry. Orth, Maureen, "Voice of America", Newsweek, December 1976. Includes information on the role of Weintraub in shaping Denver's career, which has since been edited out of later versions of his biography. বহিঃসংযোগ John Denver — Find A Grave Windstar Foundation, cofounded by Denver Clips of his songs from the Songwriters Hall of Fame website Official John Denver Fan Club based in Germany – bilingual site English and German ১৯৪৩-এ জন্ম ১৯৯৭-এ মৃত্যু ক্যালিফোর্নিয়ার দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু মার্কিন পরিবেশবাদী মার্কিন লোক গায়ক মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী জার্মান বংশদ্ভুত মার্কিন ব্যক্তি আইরিশ বংশদ্ভুত মার্কিন ব্যক্তি গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন লোক গিটারবাদক মার্কিন টেলিভিশন অভিনেতা মার্কিন মানবতাবাদী দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট জন ডেনভার কলোরাডো থেকে সংগীতশিল্পী নিউ মেক্সিকো থেকে সংগীতশিল্পী ডেনভার, কলোরাডো থেকে সংগীতশিল্পী কস্পমান, কলোরাডোর ব্যক্তিত্ব রজওয়েল, নিউ মেক্সিকোর ব্যক্তিত্ব আরসিএ রেকর্ডসের শিল্পী মার্কিন পুরুষ গিটারবাদক মার্কিন আত্মজীবনীকার মার্কিন লোক সঙ্গীতশিল্পী মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি প্যারাডাইস পেপার্সে নাম থাকা ব্যক্তি নিউ মেক্সিকোর কণ্ঠশিল্পী ২০শ শতাব্দীর মার্কিন গিটারবাদক ২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা ২০শ শতাব্দীর মার্কিন পুরুষ লেখক ২০শ শতাব্দীর মার্কিন কবি ২০শ শতাব্দীর মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী
doc-33
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এটি প্রত্ন সংগ্রহে সমৃদ্ধ। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে। ইতিহাস বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এর শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আবদান রয়েছে। ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা জাদুঘর অকস্মাৎ এতে সংরক্ষিত সকল নিদর্শন দাবি করে বসে। তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেলের প্রচেষ্টায় ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে জারীকৃত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরেন্দ্র জাদুঘরকে এর নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যপারে স্বাধিকার প্রদান করা হয়। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের সাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের খনন কাজ শুরু করে। পরবর্তিতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির একক প্রচেষ্টায় পাহাড়পুর থেকে ২৫৬টি নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের পরে জাদুঘরটির অস্তিত্ত্ব নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দ পযর্ন্ত জাদুঘর ভবনটির অর্ধেকাংশ মেডিকেল স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে জাদুঘরটি বন্ধ হবার উপক্রম হলে ঐ বছরের ১০ অক্টোবর তারিখে এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিগ্রহণ করে। জাদুঘরটির পরিদর্শকদের মধ্যে রয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ সহ আনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। নিদর্শনসমূহ বরেন্দ্র জাদুঘরের সংগ্রহ সংখ্যা ৯ হাজারেরও অধিক। এখানে হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। মহেনজোদারো সভ্যতা থেকে সংগৃহীত প্রত্নতত্ত, পাথরের মূর্তি, খ্রিস্টীয় একাদশ শতকে নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি, ভৈরবের মাথা, গঙ্গা মূর্তি সহ অসংখ্য মূর্তি এই জাদুঘরের অমূল্য সংগ্রহের অন্তর্ভুত। মোঘল আমলের রৌপ্র মুদ্রা, গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা, সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা বিশেষ ভাবে উল্যেখয়োগ্য। এখানে প্রায় ৫,০০০ পুঁথি রয়েছে যার মধ্যে ৩৬৪৬টি সংস্কৃত আর বাকিগুলো বাংলায় রচিত। পাল যুগ থেকে মুসলিম যুগ পযর্ন্ত সময় পরিধিতে অঙ্কিত চিত্রকর্ম, নূরজাহানের পিতা ইমাদ উদ দৌলার অঙ্কিত চিত্র এখানে রয়েছে। সংগ্রহ এই জাদুঘরে ১২ সহস্র গ্রন্থ সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থশালা রয়েছে। জাদুঘরটিকে ৭টি প্রদর্শনকোষ্ঠে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম প্রদর্শনকোষ্ঠে নওগাঁর পাহাড়পুর থেকে উদ্ধারকৃত ২৫৬টি ঐতিহাসিক সামগ্রী রয়েছে। দ্বিতীয় প্রদর্শনকোষ্ঠে আছে হিন্দু ও বৌদ্ধদের তৈরী কাঠ ও পাথরের নানা ভাস্কর। তৃতীয় ও চতুর্থ প্রদর্শনকোষ্ঠে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি। পঞ্চম প্রদর্শনকোষ্ঠে আছে বৌদ্ধ মূর্তি। ষষ্ঠ প্রদর্শনকোষ্ঠে রয়েছে বিভিন্ন ভাষায় লিখিত পাথরের খণ্ড। সপ্তম প্রদর্শনকোষ্ঠে সংরক্ষিত আছে বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিদর্শনসমূহ। চিত্রমালা আরও দেখুন বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী কলেজ রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ www.erajshahi.gov.bd রাজশাহী মহানগরের তথ্যবাতায়ন www.dcrajshahi.gov.bd রাজশাহী জেলা তথ্যবাতায়ন রাজশাহী বিভাগের জাদুঘর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান ১৯১০-এ ভারতে প্রতিষ্ঠিত ১৯১০-এ প্রতিষ্ঠিত জাদুঘর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর বাংলাদেশের জাদুঘর রাজশাহী বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান
doc-34
আর্ডেন্ট মিলার বাসাইয়াওমোইট (জন্ম ১৯৭২) হলেন মেঘালয় রাজ্যের একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি ভয়েস অফ দ্য পিপল পার্টি (মেঘালয়), মেঘালয়ের সভাপতি। তিনি বর্তমানে মেঘালয় বিধানসভায় নংক্রেমের প্রতিনিধিত্ব করছেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ড মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে 4টি আসন জিতে একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সূচনা করার পর, বাসাইওমোইট ২০২৮ সালে মেঘালয়ে সরকার গঠনের জন্য ভয়েস অফ দ্য পিপল পার্টি (মেঘালয়) এর পক্ষে তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ২০ মার্চ ২০২৩-এ, বাসাইওমোইট এবং সহকর্মী ভিপিপি বিধায়করা মেঘালয় বিধানসভা ২০২৩-এর প্রথম বাজেট অধিবেশনে মেঘালয়ের রাজ্যপালের হিন্দি বক্তৃতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশন থেকে বেরিয়ে এসে বলেছিলেন যে মেঘালয় একটি অ-হিন্দি রাজ্য এবং "কেন্দ্র মেঘালয়কে এমন একজন রাজ্যপাল পাঠিয়ে অপমান করেছে যে রাজ্যের সরকারি ভাষায় কথা বলতে পারে না"। তথ্যসূত্র মেঘালয় বিধানসভার সদস্য ২০২৩-২০২৮ জীবিত ব্যক্তি ১৯৭২-এ জন্ম
doc-35
ময়মনসিংহ-২৬ আসন ছিল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের আসন ছিল। সীমানা ইতিহাস ময়মনসিংহ-২৬ আসনটি ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময় গঠিত হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে আসনটি বিলুপ্ত হয়। নির্বাচিত সাংসদ নির্বাচন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ সেফোস "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" ময়মনসিংহ জেলার জাতীয় সংসদীয় বিলুপ্ত আসন ১৯৭৩-এ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ১৯৭৯-এ বিলুপ্ত

Available Versions:

  • AIR-Bench_24.05
    • Task / Domain / Language: qa / wiki / bn
    • Available Datasets (Dataset Name: Splits):
      • default: dev, test
Downloads last month
44