The full dataset viewer is not available (click to read why). Only showing a preview of the rows.
Error code: UnexpectedError
Need help to make the dataset viewer work? Make sure to review how to configure the dataset viewer, and open a discussion for direct support.
Serial
int64 | Title
string | Date
string | Author
string | News
string |
---|---|---|---|---|
1 | শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের হিসাব ক্রয়মূল্যে নির্ধারিত হবে | 2022-08-05 | ইত্তেফাক রিপোর্ট | এখন থেকে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের হিসাব শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। ফলে বাজারে শেয়ারের দাম বাড়ুক বা কমুক ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রির চাপ তৈরি হবে না। আবার বিনিয়োগও আইনি সীমার মধ্যে থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে এক পরিপত্র জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে বলা হয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১এর ২৬ক ধারা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা এক্সপোজার লিমিট নির্ধারণের ক্ষেত্রে শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। উল্লেখ্য ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর থেকেই পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা শেয়ারের বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে গণনা করতে পঁুজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি জানিয়ে আসছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংককে তাদের মতামত জানায়। গতকাল এ ব্যাপারে পরিপত্র জারি করা হলো। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেছেন এ নির্দেশনা জারির ফলে বাজারে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগকৃত শেয়ারের দাম বাড়লেও বিক্রির চাপ তৈরি হবে না। কারণ আগে দাম বেড়ে বিনিয়োগসীমা অতিক্রম করলে বাধ্য হয়ে ব্যাংকগুলোতে শেয়ার বিক্রি করতে হতো। ফলে তারা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগও করতে পারত না। তবে এই নিয়ম পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ কতটা বাড়াবে বা পুঁজিবাজারের জন্য কতটা ইতিবাচক এ প্রসঙ্গে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী গতকাল ইত্তেফাককে বলেন নতুন এই নিয়মের ফলে কিছু ব্যাংক হয়তো বিনিয়োগ করবে। কিন্তু কতটা তা আগামী দুইতিন সপ্তাহের মধ্যে বোঝা যাবে। কারণ ব্যাংকগুলোর কাছে সেভাবে তারল্য নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে কোনো আইন বা বিধিবিধান দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব চিন্তা করে করা উচিত। কারণ যখন বাজার অতিমূল্যায়িত হয়ে যায় তখন কী হবে এদিকে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের হিসাব শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়ার সংবাদের প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল বৃহস্পতিবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসই লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বেড়েছে সূচকও। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ১৯০ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ১৯৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এর আগের দিন মঙ্গলবার ১ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায় ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্হান করছে ৬ হাজার ৩১২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্হান করছে ১ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে। দেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারে গতকাল ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির। কমেছে ১৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সিএসই সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ৭৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার। |
10 | জুলাইয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ | 2022-08-03 | ইত্তেফাক রিপোর্ট | অর্থবছরের শুরুতে রপ্তানিতে সুখবর মিলল। চলতি ২০২২২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৭৮১০ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের রেকর্ড ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির ওপর ভর করে নতুন অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এর মধ্যে জুলাই মাসে ৩৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। একক মাস হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ কোটি ডলার বেশি রপ্তানি আয় আসল দেশে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন গত অর্থবছরেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল। এখন রপ্তানি বাড়ার একটি কারণ হতে পারে আমাদের যে টাকার অবমূল্যায়ন শুরু হয়েছে তাতে বিদেশিরা কম ডলার খরচ করে একই মাপের পণ্য আমদানি করতে পারছে। এজন্য রপ্তানি বাড়ছে। তবে এটি কতদিন ধরে রাখা যাবে সেটি হচ্ছে ব্যাপার। কারণ সাম্প্রতিককালে গ্যাস বিদ্যুতের যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তাতে পণ্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে তাতে রপ্তানিও কমে যেতে পারে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ইপিবি হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী জুলাইতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। আগের অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ৪৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে দেশ যা ছিল একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ। আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৭ শতাংশ। এ বছর জুলাই মাসের মোট রপ্তানির মধ্যে শুধু পোশাক খাত থেকে এসেছে ২৮৮ কোটি ডলার এ খাতের ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ইপিবির তথ্যে বলছে দীর্ঘদিন ধরে নিট পোশাকে প্রবৃদ্ধি বেশি থাকলেও এবার বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে ওভেন পোশাকে। এ খাতে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ। আর নিট খাতে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে টাকার অঙ্কে এগিয়ে আছে নিট খাত। জুলাই মাসে ১৬৫ কোটি ডলারের নিট পোশাক এবং ১২২ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আবার জুনের তুলনায় জুলাইয়ে সার্বিক রপ্তানি প্রায় ১০০ কোটি ডলার কমে গেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪৯১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯৮ কোটি ডলারে। রপ্তানিকারকেরা বলছেন রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জুড়ে যে অস্হিরতা শুরু হয়েছে তাতে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যাচ্ছে। এতে সেসব দেশের মানুষের জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। বাড়তি খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এতে ঐ সব দেশে নিত্যপণ্যের বাইরে অন্যান্য পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো। সেখানে বিক্রি কমলে তার প্রভাবও এ দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের ওপর পড়বে এটাই স্বাভাবিক। সদ্যবিদায়ী ২০২১২২ অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ। তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন বৈশ্বিক অর্থনীতির এই কঠিন সময়ে যেখানে আমাদের অর্থনীতি আমদানিকৃত মুল্যস্ফীতির মুখোমুখি ইউরো মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমছে আমদানি ব্যয় বাড়ছে। এই অবস্থায় জুলাই মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে এটা দেশের জন্য ইতিবাচক। আমদানি ঋণপত্র খোলার হার কমেছে ৩১ শতাংশ এদিকে রপ্তানি বাড়ার সঙ্গে ডলারের ওপর চাপ কমানোর ফলও মিলছে। ডলার সংকটের কারণে অনেক পণ্যের আমদানি নিরুত্সাহিত করেছে সরকার। ফলে চলতি বছরের জুন মাস থেকে জুলাই মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলার হার কমেছে ৩১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে জুলাই মাসে দেশে মোট আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৫৪৭ কোটি ডলারের পণ্যের যা জুন মাসের তুলনায় ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ কম। জুন মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি ডলারের। তবে জুন মাসে অবশ্য মে মাসের তুলনায় আমদানি ঋণপত্র ৭ শতাংশ বেশি খোলা হয়েছিল।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে এপ্রিল মাস থেকে আমদানি কমতে শুরু করে। এপ্রিল মাসে মার্চের তুলনায় আমদানি ঋণপত্র খোলা কমেছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। মে মাসেও এপ্রিলের তুলনায় আমদানি ঋণপত্র খোলা কমেছে সাড়ে ১৩ শতাংশ। মে মাসে ঋণপত্র খোলা হয় ৭৪৪ কোটি ডলারের। |
100 | তিতা খাওয়াই বাঁশও পাঠাই | 2022-07-03 | সাইদুল ইসলাম | বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যের সংখ্যা কত এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকে হয়তো কয়েকটি পণ্যের নাম বলবেন। একসময় সর্বাগ্রে আসত পাট এবং পাটজাত পণ্যের নাম। হাল আমলে এসে সবার ওপরে যোগ হয়েছে তৈরি পোশাক। কিন্তু আমরা কয়জন জানি কত ধরনের পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় এক হিসেবে দেখা গেছে বাংলাদেশ যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে তার ৭৬ শতাংশই তৈরি পোশাক। বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যের নাম বলতে বলা হয়। ছাত্ররা তার উত্তরে লেখেন তৈরি পোশাক পাট ও পাটজাত পণ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য হিমায়িত মৎস্য ইত্যাদি। কিন্তু তারা কয়জন জানে বাংলাদেশ থেকে মাছের আঁশ রপ্তানি হয়। কিংবা আমরা বিদেশে বাঁশ রপ্তানি করি বিদেশিদের আমরা তিতা করলা খাওয়াই। কিংবা আমাদের উচ্ছিষ্ট চুল পরচুলা হয়ে বিদেশিদের মাথায় শোভা পায় শুরুর গল্প পশুর হাড় অনেকে ছোটবেলায় দেখেছেন কিছু মানুষ গ্রামের বনে জঙ্গলে পশুর হাড় কুড়াতে ব্যস্ত থাকতেন। বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল আজহার পর এ দৃশ্য ছিল চিরাচরিত। গ্রামের বাচ্চারা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত হাড় কুড়ানোর দলের দিকে। এ যেন তাদের কাছে রীতিমতো বিস্ময়। যে হাড়টি ফেলে দেওয়া হয়েছে তার আবার কাজ কি উচ্ছিষ্ট হাড় কুড়িয়ে সেটা কোথায় পাঠানো হচ্ছে ছোটবেলায় এ বিস্ময়ের ভেদ না করতে পারলেও বড় হয়ে জানা গেলপশুর হাড় বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কুড়ানির দল সেগুলো জড়ো করে শহরে পাঠাচ্ছে। এরপর তা প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কিছু কোম্পানিও গড়ে উঠে। জানা যায় এসব পশুর হাড়ের একচেটিয়া রপ্তানিকারক ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। পরে আরো দুএকটি কোম্পানি হাড় রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত হয়। সাধারণত সার তৈরির কাজে এসব পশুর হাড় ব্যবহার করা হয়। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে শুরু হওয়া হাড় রপ্তানির পরিসর এখন আরো বড় হয়েছে। তিতা খাওয়ানোর গল্প বিশ্বায়নের যুগে প্রচুর বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি শাকসবজির চাহিদা প্রচুর। কি নেই সবজির তালিকায় তিতা করলা থেকে শুরু করে কচুর লতি কিছুই বাদ নেই এই তালিকায়। বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যায় না এমন কোন সবজি নেই। বেশকিছু রপ্তানিকারক জোরেশোরে চালু রেখেছেন এ কর্মকাণ্ড। মধ্যপ্রাচ্য কিংবা লন্ডনগামী এমন কোন বিমান নেই যেটির কার্গোতে বাংলাদেশি সবজি যাচ্ছে না। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো বিভাগে এসব শাকসবজির জন্য আলাদা শেড তৈরি করা আছে। সুন্দর সুন্দর কার্টনে ভরে এসব সবজি চলে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য এবং দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। আলু পটোল ঝিঙা কাঁকরোল কচুমুখী কচু শসা টম্যাটো শজনে পেঁপে সব আছে এ তালিকায়। এসব শাকসবজি রপ্তানিতে উত্সাহিত করার জন্য সরকার নগদ আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে সবজি রপ্তানির পরিমাণ বাড়ছে। এসব সবজি বিদেশের বিভিন্ন সুপার শপে স্থান পাচ্ছে। হরেক রকম মাছ শুঁটকি বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় না এমন কোন মাছ নেই। এখন মাছের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুঁচিয়া। সামুদ্রিক মাছ থেকে শুরু করে পুকুর এবং ঘেরে চাষ করা মাছ রপ্তানিকারকরা নানা প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করছেন। চিংড়ি থেকে শুরু করে মলা ঢেলা কাচকি রুই কাতল চিতল বোয়াল মৃগেল সবই যাচ্ছে দেশের বাইরে। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে কোরাল রূপচাঁদা লইট্টাসহ নানা প্রজাতির মাছ আমাদের রপ্তানি ঝুড়িতে রয়েছে। একসময় বিভিন্ন মাছ ড্রেসিং করার পর বরফে জমিয়ে প্যাকেটজাত করে রপ্তানি করা হতো। এখন এর সঙ্গে নানা ধরনের মূল্য সংযোজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা এখন রেডি ফর ইট মোড়ক দিয়ে মাছ রপ্তানি করছেন। বিদেশে বসে একজন ক্রেতা শুধু ওভেনে গরম করে এ মাছ খেতে পারেন। চিংড়ি মাছের ক্ষেত্রে এটি অনেক আগে থেকে চলে আসলেও অন্যান্য মাছের ক্ষেত্রে এটি সাম্প্রতিক যুক্ত হয়েছে। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছে বাংলাদেশের মিঠা পানির মাছ অনেক সুস্বাদু। বিশেষ করে এখানকার চিংড়ি মাছ পৃথিবীর সেরা। মাছ রপ্তানির সুবিধার্থে বাংলাদেশে এখন দুই শতাধিক মৎস্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা কাজ করছে। এর পাশাপাশি এখন নানা ধরনের শুঁটকিও বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাঁশও পাঠাই আমরা বিদেশিদের আমরা যেমন তিতা করলা খাওয়াই আবার বাঁশও পাঠাই তাদের। বাংলাদেশের নানা প্রজাতির বাঁশ শুধু আমরা যে ব্যবহার করছি তা নয়। এসব বাঁশ আমরা নানাভাবে বিদেশেও পাঠাচ্ছি। একজন রপ্তানিকারক জানান আমরা আস্ত বাঁশ রপ্তানি করি না। বাঁশ দিয়ে বানানো বিভিন্ন আইটেম আমরা রপ্তানি করছি। তিনি জানান ইউরোপের দেশগুলোতে অনেকেই এ পণ্য বাংলাদেশ থেকে নিচ্ছেন। এসব পণ্য তারা ড্রয়িং রুম সাজানোর কাজে ব্যবহার করছেন। আরেকজন রপ্তানিকারক জানান মাস তিনেক আগে তিনি জার্মানিতে এক কন্টেইনার বাঁশের গোড়া রপ্তানি করেছেন। এসব বাঁশের গোড়ায় শিকড় ছিল। ঘর সাজানোর কাজে এগুলো ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া বাঁশ দিয়ে বানানো বিভিন্ন সামগ্রী আমাদের রপ্তানির তালিকায় রয়েছে। রপ্তানিতে চাহিদা থাকায় দেশের আনাচে কানাচে অনেক কুটির শিল্প গড়ে উঠেছে। রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা কত বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা কতএ নিয়ে নানা ধরনের তথ্য আছে। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর এক হিসেবে দেখা গেছে এর সংখ্যা ৪ হাজারের ওপরে। বাংলাদেশ ব্যাংক মোটাদাগে বেশ কিছু ক্যাটাগরি করেছে রপ্তানি পণ্যের। এসবের মধ্যে আছে হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছ কৃষিজাত পণ্য তামাক ফুল এবং ফল মসলা শুকনো খাবার পেট্রোলিয়াম উপজাত পণ্য রাসায়নিক পণ্য প্লাস্টিক দ্রব্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য নিটওয়্যার ওভেন গার্মেন্টস হোম টেক্সটাইল ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য জাহাজ নৌকা এবং অন্যান্য ভাসমান স্থাপনা। কিছুই ফেলনা নয় আমাদের চারপাশে আমরা যেসব অযাচিত দ্রব্য দেখি সেগুলোর কোনটাই ফেলনা নয়। যেমন আপনি কাওরান বাজার থেকে বড় একটি মাছ কিনলেন। সেখানে মাছ কাটার লোক থাকে। তিনি প্রথম মাছের আঁশ ছাড়িয়ে নেন। আপনার মনে হতে পারে এগুলো ফেলনা জিনিস। কিন্তু না। রাতের বেলা একদল লোক এসে এসব আঁশ দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যান। এসব আঁশ বিদেশে রপ্তানি হয়। জানা গেছে বিভিন্ন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে এসব আঁশ ব্যবহার করা হয়। এখন নারিকেলের চোবড়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এটি দিয়ে নানা শৌখিন আইটেম তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করছেন অনেকে। রপ্তানির ক্ষেত্রে হোগলা পাতার কদরও এখন বেশ। সাম্প্রতিক কালে শোনা গিয়েছে যে বাংলাদেশে এখন হাতির পায়খানা দিয়ে কাগজ তৈরি হচ্ছে। তা আবার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। জনশক্তিও বাংলাদেশের রপ্তানির মধ্যে পড়ে। |
1,000 | ভ্যাট নিবন্ধন বেড়েছে ৬৯ শতাংশ | 2021-08-23 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | করোনা মহামারির মধ্যেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এনবিআর আওতায় বিদায়ী ২০২০২১ অর্থবছরে ভ্যাট নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে ৬৯ শতাংশ।আগের অর্থবছরে ২০১৯২০২০ নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৯টি। বিদায়ী অর্থবছরে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩১টি নতুন নিবন্ধনের ফলে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ২০০টিতে। এনবিআরের পরিসংখ্যান ও গবেষণা বিভাগ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে সারাদেশে ১১টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটে। সেখানে ২০২০২১ অর্থবছরে নতুন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৯২। ২০১৯২০ অর্থবছরে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৫০টি সেটা গত অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ১৪২টি। অর্থাৎ এক বছরে এই কমিশনারেটে ভ্যাট নিবন্ধন বেড়েছে ১১২ শতাংশ।ইত্তেফাকএমআর |
1,001 | সিলেটে ডিবিএল গ্রুপের ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কের যাত্রা শুরু | 2021-08-22 | ইত্তেফাক রিপোর্ট | সিলেটের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিবিএল ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কএর যাত্রা শুরু হয়েছে। দশটি ইউনিটের মাধ্যমে ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রায় ছয় হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করবে বলে জানা গেছে।আজ রবিবার ২২ আগস্ট রাজধানী সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এই ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।এসময় তিনি বলেন একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্ন। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপ্লব আরো গতিশীল হবে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের শিল্পের ধারবাহিক বিকাশে সরকার সব ধরনের অবকাঠামোগত ও নীতি সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং তা করতে যথেষ্ট আগ্রহী। ডিবিএল গ্রুপের এই বিনিয়োগ দেশীয় শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে দেশ এখন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধির পথে। উন্নয়নের তাক লাগানো সব চমকে বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বের কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত। শিল্পবাণিজ্যসহ সব খাতের ক্রমবর্ধমান বিকাশে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে দেশের অর্থনীতি। দেশে শিল্পবাণিজ্যের অবদান বাড়ছে এই খাতের বিকাশ ঘটেছে বহুগুণ। বেজা সেই বিকাশকে আরও বেশি বেগবান করতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছ। দেশব্যাপী ১০০ টি অর্থণৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সে অভিষ্ট লক্ষ্যেই এগুচ্ছে। ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এই বিকাশমান ধারার আরেকটি ধাপ। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গুলোতে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার।ডিবিএল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. এ. জাব্বাব বলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে মাথা তুলে দাড়িয়েছে। এর পিছনে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং সঠিক জায়গায় বিশাল বিনিয়োগ। ডিবিএল গ্রুপের লক্ষ্য এই উন্নয়নের জোয়ারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশকে শিল্প বিপ্লবের দিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে। সেই লক্ষ্যেই ডিবিএল গ্রুপ ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের যাত্রা শুরু করেছে।তিনি আরো বলেন ডিবিএল গ্রুপ সব সময়ই প্রথাগত ব্যবস্যার পদ্ধতিতে থেমে না থেকে বহুমাত্রিক প্রযুক্তি নির্ভর অটোমেটেড প্লাটফর্মের জায়গা গুলোতেও বিনিয়োগ করেছে। ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক আমাদের দীর্ঘ পথযাত্রায় আরো ভূমিকা রাখবে।সিলেটের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ বা বেজা। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ১৬৭.৬ একর জায়গা বরাদ্ধ পেয়ে এক বিশাল শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠা করছে ডিবিএল গ্রুপ। ডিবিএল অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাকছে টেক্সটাইল ও সিরামিক শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে মোট ১০টি ইউনিট। ইউনিটগুলো হলো জিনাত টেক্সটাইল মিলস্ লি স্পিনিং ইউনিট রিসাইকেল পলিএস্টার ইউনিট সিরামিক টাইলস ইউনিট স্যানিটারি ওয়ার ইউনিট সিরামিক ফ্রিট ইউনিট ফ্লোট গ্লাস ইউনিট গ্লাস প্রসেসিং ইউনিট ড্রাই মর্টার ইউনিট ফসেট ইউনিট। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটি থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বার্ষিক টার্নওভার লাভের আশা করা হচ্ছে ।ডিবিএল ৪৩.৫ টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিশ্বমানের টেক্সটাইল মিল নির্মানের পরিকল্পনা করছে যেখানে টেক্সটাইল শিল্পের বিভিন্ন চাহিদা পূরনের জন্য প্রতিদিন ৩৫ টন সূক্ষ্ম তুলা সুতা ও ৮.৫ টন রটার সুতা উৎপাদন করা হবে উৎপাদন ব্যবস্থাকে দ্বিগুণ করার জন্য এই মিলটিকে ভবিষ্যতে সম্প্রসারিত করা হবে । এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটিতে ১৮ টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি রিসাইকেল পলিয়েস্টার ইউনিটও থাকছে যা অন্যান্য স্পিনিং মিলের জন্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত স্টেপল ফাইবার তৈরি করবে।ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটিতে আরও থাকছে একটি সুবিশাল সিরামিক ফ্যাক্টরি যা দুইটি ভিন্ন উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিদিন ৪০০০০ বর্গমিটার আয়তনের ফ্লোর ও দেয়ালের টাইলস তৈরি করবে। এছাড়াও সিরামিক কারখানা গুলোতে সিরামিক গ্লেজ প্রস্তুত করার বিশেষ উপাদান সিরামিক ফ্রিট তৈরির জন্য ৯৯ টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কারখানা থাকছে । যা সিরামিক শিল্প কারখানা গুলোতে বহুল ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ন পার্কের সাথে সংশ্লিষ্ট ডিবিএল এর সবচেয়ে বড় প্রকল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম তাদের সুবিশাল টেক্সটাইল মিলটিতে থাকছে দুইটি স্পিনিং ফ্যাক্টরি। ভার্টিকালভাবে সমন্বিত এই দুইটি টেক্সটাইল মিলের মাধ্যমে উৎপাদিত পন্য পৌঁছে যাবে এইচ এন্ড এম জর্জ পুমা ইস্পিরিট জিস্টার ডেকাথলন টম টেইলরের মত বিশ্ববিখ্যাত সব নামি দামি ব্র্যান্ডের কাছে ।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ ভাইস চেয়ারম্যান এম. এ. রহিম উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. কাদেরসহ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা এর উর্দ্ধতণ কর্মকর্তাগণ ডিবিএল গ্রুপএর বিভিন্ন ইউনিটের উর্দ্ধতণ কর্মকর্তাগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।ইত্তেফাকআরকে |
1,002 | আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম | 2021-08-22 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি ও চাহিদার তুলনায় দেশে আমদানি কম হওয়ায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সব মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৫১৬ টাকা করে বেড়েছে। এতে দেশের বাজারে ভালোমানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকায়।রবিবার ২২ আগস্ট বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ থেকে সোনার এ নতুন দর কার্যকর হবে।বাজুস জানিয়েছে করোনার কারণে বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা উপকরণ কর রেয়াত ও বিভিন্ন দাপ্তরিক জটিলতায় গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছেন না। চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় দেশীয় বুলিয়ন ও পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।তাই বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।ইত্তেফাকএনএ |
1,003 | লেনদেন কিছুটা কমলেও মূলধন ১৮০০ কোটি টাকা ফিরেছে | 2021-08-22 | ইত্তেফাক রিপোর্ট | বিদায়ি সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এর মধ্যে দুই কার্যদিবসেই পতন হয়েছে। বাকি দুই কার্যদিবসে উত্থান হলেও সপ্তাহ শেষে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে কিছুটা কমেছে। সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বাজার মূলধন ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ফিরেছে।জানা গেছে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৮ কোটি ৬৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭২১ কোটি ৬২ লাখ ৪ হাজার টাকা। অর্থাত্ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে।বিদায়ি সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসই ১০ হাজার ৩১১ কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০ হাজার ৬৫৪ কোটি ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩৪২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৩১২ টাকা বা ৩ দশমিক ২১ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬১ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৬০ দশমিক ৬২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬১ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। তবে ডিএসই৩০ সূচক ৪ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৪২৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে। সূচক মূলধনে নতুন রেকর্ড ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ....বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির বা ৫৯ দশমিক ২৬ শতাংশের কমেছে ১৪৩টির বা ৩৭ দশমিক ৮৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির বা ২ দশমিক ৯২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সিএসই বিদায়ি সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪০৭ কোটি ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৪৬ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪০৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৬২ টাকার। অর্থাত্ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১ কোটি ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৩১৬ টাকা কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৭ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৭১৩ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১৮ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০১ শতাংশ সিএসই৩০ সূচক ৮৫ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ সিএসই৫০ সূচক ৯ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সিএসআই ৯ দশমিক ০৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৮২০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট ১৪৪৭৮ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট ১৪২৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট এবং ১২৪৭ দশমিক ০৪ পয়েন্টে।সপ্তাহ জুড়ে সিএসইতে ৩৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৮০টির বা ৫২ দশমিক ৩৩ শতাংশের দর বেড়েছে ১৪৩টির বা ৪১ দশমিক ৫৭ শতাংশের কমেছে এবং ২১টির বা ৬ দশমিক ১০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।ইত্তেফাকএএএম |
1,004 | বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এখন সোনালী ব্যাংকে | 2021-08-21 | বিশেষ প্রতিনিধি | এখন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের পরিবর্তে প্রক্রিয়া করবে সোনালী ব্যাংক। এ জন্য ভাতা বিতরণ নীতিমালায় সংশোধন আনা হয়েছে। শনিবার মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বিতরণ সহজ করতে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এক অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কর্মশালা উদ্বোধন করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধানসহ ব্যাংকের সকল শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রায় দুই হাজার কর্মকর্তা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল সেক্টরের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধারাও ডিজিটাল সেবার আওতায় এসেছেন। ইতোমধ্যে জিটুপি গভর্নমেন্ট টু পারসন পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ভাতা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। ফলে ভাতা প্রক্রিয়ার কাজে মুক্তিযোদ্ধাদের আর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যেতে হবে না।ইত্তেফাকইউবি |
1,005 | কমেছে দুর্ভোগ বেড়েছে স্বচ্ছতা | 2021-08-21 | ইত্তেফাক রিপোর্ট | আগে ভাতা আনতে সকালে গিয়ে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়াতাম। টাকা পেতে বিকেল হয়ে যেত অনেক সময় ওইদিন পাওয়া যেত না। আরেকদিন যেতে হত। আবার বাড়ি থেকে ব্যাংকে যেতে ৪০৫০ টাকা খরচ হতো। আর এখন এই ভাতা আনতে কোথাও যেতে হয় না। আমার মোবাইল ফোনেই চলে আসে। সুবিধামতো এজেন্টের কাছে গিয়ে টাকা তুলে নিয়ে আসি। ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে এভাবেই বলছিলেন ধামরাইয়ের যাদুরচরের বয়োবৃদ্ধ রেখা রানী পাল। গত ৬ মাস ধরে এমএফএসের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এই নারী।বর্তমানে বয়স্ক প্রতিবন্ধী বিধবা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতা বিতরণ করা করা হচ্ছে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এমএফএসের মাধ্যমে। সরকারের তালিকায় থাকা ৮৮ লাখ মানুষ এই সেবার আওতায় এসেছেন। এর মধ্যে ৭৬ লাখ মানুষের কাছে সরাসরি এবং ১২ লাখ মানুষের কাছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই ভাতা যাচ্ছে। এর ৭৫ ভাগই যাচ্ছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদের মাধ্যমে।গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কিভাবে ডিজিটাল সেবার আওতায় এসেছে তা দেখতে সরেজমিনে গত মঙ্গলবার ধামরাইয়ের যাদুরচর ইউনিয়নে গেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন খান ইত্তেফাককে বলেন এমএফএসে এখন ভাতা বিতরণ করায় আমাদের কষ্টও অনেক কমে গেছে। আগে ব্যাংকে ভাতা আসলে আমাদের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবর দিতে হতো। পরদিন সবাই ধারমরাইয়ে গিয়ে সোনালী ব্যাংকে লাইনে দাঁড়াতো। গরমে ঘেমে তাদের এই টাকা তুলতে অনেক কষ্ট করতে হতো। ব্যাংকের লোকজনও এদের সামাল দিতে হিমশিম খেতেন। আর এখন যার টাকা তার মোবাইলে চলে যাচ্ছে। ফলে অপব্যবহারও অনেক কমে গেছে। কমেছে দুর্ভোগ বেড়েছে স্বচ্ছতা ....শুধু যে মানুষের কষ্ট কমেছে তা নয় বেড়েছে স্বচ্ছতাও। এমএফএসের মাধ্যমে টাকা যাওয়া শুরু হওয়ার পর ৮৭ হাজার মানুষ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। অর্থাৎ এই টাকাগুলো অপব্যবহার হতো। বর্তমানে বয়স্ক ও বিধবারা মাসে ৫০০ টাকা করে প্রতিবন্ধীরা ৭৫০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সাড়ে ৭শ টাকা থেকে পর্যায়ক্রমে এক হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন। বর্তমানে এমএফএসে যে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে তার ৭৫ ভাগই নগদের মাধ্যমে আর ২৫ ভাগ যাচ্ছে বিকাশে। বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা এই টাকা সরাসরি গ্রাহকের কাছে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি এই টাকা তুলতে যে খরচ হচ্ছে সেটাই টাকার সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ইত্তেফাককে বলেন আমরা যখনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছি তখনই তিনি বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা যেন গ্রামের মানুষও পান। একেবারে সুবিধাবঞ্চিত মানুষকেও এই সরকার ডিজিটাল সেবার আওতায় এনেছে। এতে কিছু দুর্নীতিও অনেকটাই কমে গেছে। কারণ কারও মাধ্যমে হাত দিয়ে টাকা বিতরণ করলে নয়ছয় হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যার টাকা যদি তার মোবাইলে চলে যায় তাহলে সেখানে দুর্নীতির কোন সুযোগ থাকে না। আমরা শুধু ডিজিটাল সেবা না সরকারী এই ভাতার স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করেছি।সরেজমিনে ঢাকার অদূরে হেমায়েতপুরে কথা হয় এক হাত না থাকা হাসান খন্দকারের সঙ্গে। ইত্তেফাককে তিনি জানালেন আমার একটি হাত নেই। ঠিকমতো কোন কাজ করতে পারি না। এর জন্য সরকার যে প্রতিমাসে সাড়ে ৭শ টাকা দেয় তাতে আমি খুবই সন্তুষ্ট। তবে ভাতার এই টাকা একটু বাড়ানোর অনুরোধও তার। তিনি বলেন আগে এই ভাতার টাকা পেতে সাভারে যেতে হতো। ইজিবাইকেও গেলে আসাযাওয়া মিলে ৬০ টাকা খরচ হয়ে যেত। ব্যাংকে সকালে গিয়ে লাইলে দাঁড়ালেও টাকা পেতে বিকেল হয়ে যেত। এখন আমার নিজের মোবাইলে এই টাকা আসে। কষ্টও অনেক কমে গেছে।সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন ৮৮ লাখ মানুষকে ডিজিটাল সেবার মধ্যে আনতে আমাদের প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে। গত জানুয়ারিতে এই সেবা শুরু হলেও তার আগের ৬ মাস আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়েছে। কেউ ফোন নম্বর ভুল দিয়েছেন কারও ফোনই নেই কেউ ব্যবহার জানে না কেউ পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারে না এমন অসংখ্য সমস্যা ছিল এই সেবা চালু করতে। শেষ পর্যন্ত আমাদের কর্মীরা সফলভাবে এটা করতে পেরেছে। অবশ্য নগদের যারা আমাদের সঙ্গে এই সেবা চালু করতে কাজ করেছেন তারাও নিরলসভাবে পরিশ্রম করে গেছেন।ইত্তেফাকএসআই |
1,006 | তালায় টমেটো চাষিদের মুখে হাসি নেই | 2021-08-21 | তালা সাতক্ষীরা সংবাদদাতা | করোনা ও লকডাউনের কারণে দাম কম থাকায় উৎপাদিত সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তালা উপজেলার নগরঘাটা এলাকার চাষিরা। গত বছর যে টমেটো ৬০৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে তা এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এলাকার অধিকাংশ কৃষক সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্রকলি লাল বাঁধাকপি উন্নত জাতের উচ্ছে কুল ও গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদ করে দেশের মানুষের কাছে সাতক্ষীরা জেলাকে আলাদাভাবে পরিচিত করিয়েছে কুড়িয়েছে অনেক সুনাম। কিন্তু করোনা ও লকডাউনের কারণে দাম কম থাকায় সেই চাষিদের মুখে এবার হাসি নেই।নগরঘাটা এলাকার আব্দুর রশিদ সরদার রেজাউল সরদার শেখ শাহীনসহ কয়েকজন চাষি বলেন গত বছর টমেটো ৬০৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এবছর তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া জেলার বাইরে রপ্তানিতে যানবাহন খরচ বেড়েছে বেড়েছে সারকীটনাশকের দাম। বিঘা প্রতি প্রায় টমেটো চাষে খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ। এবার উৎপাদন খরচই কোন রকম উঠবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে স্বল্প সুদে কৃষিঋণ পেলেও তাদের চিন্তা কিছুটা কম থাকতো বলে জানান চাষিরা। ....এদিকে বিগত ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রীষ্মকালীন টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন করেছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষিমন্ত্রীর দেয়া সেই আশ্বাস কতটা উদ্যমী করেছিল কৃষকদের সেটা নগরঘাটা ইউনিয়নের মাঠ ও মাছের ঘেরে উৎপাদিত কাঁচামাল তরকারি দেখলেই বোঝা যায় বলে জানান এলাকাবাসী। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান করোনা ও লকডাউনের কারণে চাষিরা তাদের উৎপাদিত সবজির দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন। দ্রুত এটি ঠিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।ইত্তেফাকএমআর |
1,007 | শোক দিবসে সাজিদা ফাউন্ডেশনের খাদ্য বিতরণ | 2021-08-20 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সাজিদা ফাউন্ডেশন।৯ ও ১১ আগস্ট দুটি ভাগে ঢাকা গাজীপুর ও চাঁদপুরে শুরু হওয়া কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের এমআরএ নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মো ফশিউল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম সাজিদা ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফজলুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।মো. ফশিউল্লাহ বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করি। তাকে সম্মানিত করার জন্য সাজিদার প্রচেষ্টা প্রশংসিত। সাজিদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদা ফিজা কবির বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহৎ কাজগুলো স্মরণ করতে খাদ্য বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। কোভিড১৯ মহামারিকালে প্রান্তিক মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সঙ্গে মিল রেখে এই উদ্যোগ।এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন জাতির উন্নয়নে নিযুক্ত হওয়া সব সময় আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। সাজিদা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ তার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে।ইত্তেফাকইউবি |
1,008 | ছাড়ের সুবিধা দিলেও বাড়ছে খেলাপি ঋণ | 2021-08-20 | রেজাউল হক কৌশিক | করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনো কমেনি। এতে স্বাস্থ্যগত দিকের পাশাপাশি অর্থনীতিও ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত। মন্দা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিরা। যদিও সরকার এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। অবশ্য সে প্রণোদনা প্রাপ্তি বা ব্যবহার নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। সরকারের দেওয়া সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধি। এ সুবিধা দেওয়ার পরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। গেল জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৬১ ভাগ। তিন মাস আগে অর্থাৎমার্চ শেষে যা ছিল ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ হওয়া ঋণের ৮ দশমিক ০৭ ভাগ। ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। অবশ্য আগের বছরের জুন মাস শেষে মোট বিতরণ হওয়া ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। সে হিসাবে গত এক বছরে খেলাপি ঋণ শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে। এবার ঘুষ কেলেঙ্কারি তদন্তে কমিটি গঠন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক ..বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাত্ জুন শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।ইত্তেফাকজেডএইচডি |
1,009 | বেটার্মিনালের কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালে | 2021-08-20 | চট্টগ্রাম অফিস | চট্টগ্রাম বন্দরের চার গুণ বেশি সক্ষমতার বেটার্মিনালে কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালে। এর মধ্যে একটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করবে। বাকি দুটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ পিপিপি পদ্ধতিতে বিদেশি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় নির্মিত হবে। ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটির পিএসএ সঙ্গে জিটুজি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া ডিপি ওয়ার্ল্ড ডেনমার্ক চায়না থেকে বিনিয়োগকারীরা বাকি দুটি টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বে টার্মিনাল নিয়ে রোববার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বৈঠক ...নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী পিপিপি অথরিটি ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার সমুদ্রপথে এবং উপকূলীয় এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল প্রকল্প এলাকায় সাংবাদিকদের পুরো বেটার্মিনাল প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বেটার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৬৮ একর বেসরকারি ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি খাস ৮০৪ একর জমি ইতিমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াওবিপুল পরিমাণ জমি সমুদ্র থেকে ভরাটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে যেখানে বর্তমানে সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়ে। বেটার্মিনালে সেক্ষেত্রে সাড়ে ১২ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। বেটার্মিনালের কর্মকাণ্ড ২৪ ঘণ্টা চলবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরে শুধু জোয়ারভাটার ওপর নির্ভর করে দিনের বেলায় জাহাজ চলাচল করে থাকে। গতিহারা বেটার্মিনাল প্রকল্প ..চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন পতেঙ্গার সমুদ্র উপকূলে বেটার্মিনালের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকা পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন পদ্মা সেতু মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর ও পায়রা বন্দরের ন্যায় বেটার্মিনালও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের অগ্রাধিকার প্রকল্প। সুতরাং এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের কোনো সংকট হবে না। এটি সমন্বিত উদ্যোগে দ্রুত বাস্তবায়নে পুরো টিম কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু ভরাট কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন বেটার্মিনাল ২০২৪ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সবাই কাজ করছেন।ইত্তেফাকজেডএইচডি |
101 | ৪৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেলো সিটি ব্যাংক | 2022-07-02 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | সিটি ব্যাংক ওমানের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক ব্যাংক মাস্কাট থেকে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের সিন্ডিকেটেড ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক মাস্কাট প্রাথমিকভাবে ২৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে লেনদেন শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ব্যাংকের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এইসব দেশের স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক ব্যাংকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড সংগ্রহ করে ব্যাংক মাস্কাট যা প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ২৫ মিলিয়ন ডলার থেকে ৮০ শতাংশ বেশি। এটি সিটি ব্যাংকের জন্য ব্যাংক মাস্কাটের নেতৃত্বে তৃতীয় সফল সিন্ডিকেটেড ঋণ সুবিধা। বিশ্ব করোনা মহামারি থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত হয়নি আবার বর্তমান ভূরাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। এই ঋণ সুবিধা সিটি ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করবে। দেশের বাণিজ্য খাতের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংক সিটি ব্যাংক তাদের বাণিজ্যিক লেনদেনের অর্থায়নে এই ঋণ ব্যবহার করতে পারবে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশের বাণিজ্য কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এটি সহায়তা করবে। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মারুফ এই সিন্ডিকেট ঋণের বিষয়ে বলেন সিটি ব্যাংকের সিন্ডিকেশন ঋণে বৈশ্বিক ব্যাংকগুলোর অভূতপূর্ব সাড়া দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ সিকিন্ডিকেট ঋণ প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৮০ শতাংশ ওভারসাবস্ক্রাইবড হওয়ায় তা সিটি ব্যাংকের শক্তি এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারে তার গ্রহণযোগ্যতার চিত্র তুলে ধরে। শেখ মোহাম্মদ মারুফ আরও বলেন বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ব্যাংকটির জন্য শক্তিশালী তারল্য নিশ্চিত করতে এবং আমাদের ক্লায়েন্টদের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রয়োজন মেটাতে আমরা এই ঋণসহ একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য এবং এই চুক্তিটি সম্পন্ন করতে সাহায্য করার জন্য আমি ব্যাংক মাস্কাটকে ধন্যবাদ জানাই। উল্লেখ্য সিটি ব্যাংক ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ব্যাংক মাস্কাট থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরো সিন্ডিকেট ঋণ নিয়েছিল। যা ছিল কোনো ওমানি ব্যাংকের কাছ থেকে কোনো বাংলাদেশি ব্যাংকের নেওয়া এ ধরনের প্রথম ঋণ। ২০২০ সালে সিটি ব্যাংক ৩০ মিলিয়ন ডলার সিন্ডিকেটেড ঋণ গ্রহণ করে। ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সম্পদের ব্যাংক মাস্কাট হলো ওমানের সালতানাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক। ৩৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ারসহ এটি দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং সম্পর্কের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত যা ব্যবসা বাণিজ্যকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকটি উপসাগরীয় অঞ্চল ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া এবং আফ্রিকাজুড়ে ঋণদাতাদের কাছ থেকে অনুকূল অর্থায়নের শর্তে তহবিল সংগ্রহে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। |
1,010 | সোয়াপে পুরোনো পণ্য বিক্রির মূল্য ‘নগদ’এ নিলেই বোনাস | 2021-08-19 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | করোনা পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ ও রিকমার্স ব্র্যান্ড সোয়াপ নিয়ে এসেছে দারুণ ক্যাম্পেইন। চয়েস ইজ ইওরস নামের এই ক্যাম্পেইনে পুরোনো পণ্যের মূল্য নগদএ নিলেই গ্রাহকেরা পাবেন ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আকর্ষণীয় বোনাস।সোয়াপে চলমান নগদ ডিলএ বেশি লাভ অফারে গ্রাহকেরা এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোন ল্যাপটপ বাইক গাড়ি এবং ফার্নিচার ক্রয়বিক্রয়সহ পুরানো জিনিসপত্র বদল করতে পারবেন। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোয়াপের পিকআপ ম্যান গ্রাহকদের বাসা থেকে পুরোনো পণ্যটি সংগ্রহ করে নেবেন।নগদ ডিলএ বেশি লাভ এই অফারটি চলবে আগামী ৩১ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত। গ্রাহকেরা বোনাসের টাকা পণ্য বিক্রির ৩০ কার্যদিবস পর নিলে পাবেন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বোনাস। ১৫ কার্যদিবস পর নিলে ২০ শতাংশ বা ২০ হাজার টাকা বোনাস। আর তাৎক্ষণিক নিলে পাবেন ১০ শতাংশ বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বোনাস।করোনা পরিস্থিতে অর্থনীতিতে অবদান রাখা বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র এই রিকমার্স ব্র্যান্ডটি মনে করে পুরোনো মানে ফেলনা নয় পুরোনো মানে সম্পদ। করোনাকালীন এই দুর্যোগেও প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বদ্ধপরিকর।সোয়াপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন বলেন সোয়াপ বিশ্বাস করে পুরোনো মানে ফেলনা নয় পুরোনো মানেই সম্পদ। পুরোনো জিনিস পুনরায় ব্যবহার করে দেশের ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য কমিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সোয়াপ বদ্ধপরিকর।এ বিষয়ে নগদএর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সিএমও শেখ আমিনুর রহমান বলেন নগদ দেশীয় যেকোনো উদ্যোগের সঙ্গে থাকাটা জরুরি মনে করে। কারণ নগদ নিজেও একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। সোয়াপের এই অফারের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতা যেন উপকৃত হন সেই মাধ্যম হিসেবে নগদ একটা ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবে। কারণ দেশি নগদএ বেশি লাভ।এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গ্রাহকেরা . এই লিংকে ভিজিট করতে পারেন।ইত্তেফাকআরকে |
1,011 | কোভিডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় গ্রামীণফোন কর্মীরা | 2021-08-19 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | কোভিড১৯ মোকাবিলায় ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্র্যাকের ডাকছে আবার দেশ উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়ে ৩৩ হাজার ৩শর অধিক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষ করেছে গ্রামীণফোন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন এবং তাদের মাসিক বেতন থেকে আলাদাভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।এই উদ্যোগটি গ্রামীণফোনের কোভিড১৯ রেসপন্স বিষয়ক কার্যক্রমের অংশ। প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক মহামারির মারাত্মক প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ করে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে ও সমাজকে সহায়তায় ধারাবাহিক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে যেসব অসহায় পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন এবং দৈনিকমজুরির ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ডাকছে আবার দেশ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।যারা কোভিড১৯ বিপর্যয়ের ফলে সামাজিক ও আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস দিতে দেশের এই সঙ্কটকালীন সময়ের শুরু থেকে প্রযুক্তি সেবা প্রদানে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন এবং শীর্ষস্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক পার্টনারশিপ করেছে। এই উদ্যোগ সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিদের এই মানবিক সঙ্কটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং দেশকে সচল রাখতে তাদর সক্ষমতা অনুযায়ী অবদান রাখতে উৎসাহিত করছে।গত ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাকের সাথে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয় গ্রামীণফোন এবং এখন পর্যন্ত মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে ৩৩ হাজার ৩৩৩ পরিবার আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। গ্রামীণফোনের আর্থিক সহায়তায় মাধ্যমে এই অর্থ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে দেশের ডাকে সাড়া দিতে গ্রামীণফোনের কর্মীরাও এগিয়ে এসেছেন এবং সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছেন।কোভিড সঙ্কট উত্তরণে গত বছর গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক যৌথভাবে এক লাখের বেশি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। ডাকছে আমার দেশএর পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিএইচএস সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রামীণফোন ৫০০০০ মেডিকেলগ্রেড পিপিই প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ আমার ঘরে আমার স্কুল এর মতো উদ্যোগ আয়োজনে এবং জনগণের মাঝে কোভিড১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করতে এটুআই বিটিআরসি ইউনিসেফ এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও এর মতো বিভিন্ন সরকারিবেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে পার্টনারশিপ করেছে।ইত্তেফাকআরকে |
1,012 | দেশের অর্থনীতি ভালো তাই পুঁজিবাজার চাঙ্গা অর্থমন্ত্রী | 2021-08-19 | ইত্তেফাক রিপোর্ট | দেশের পুঁজিবাজারে যে চাঙ্গাভাব দেখা যাচ্ছে তা অর্থনীতি ভালো থাকার ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার মতে দেশের অর্থনীতি ভালো থাকলে পুঁজিবাজারের অবস্থাও চাঙ্গা থাকে।বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক দুটি অনুষ্ঠিত হয়। শেয়ারবাজারে দুর্বল কোম্পানির মূল্য অনেক বেড়ে যাচ্ছে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিষয়টি দেখবেন। পুঁজিবাজারের যে মৌলিক বিষয় সেটি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতি যখন ভালো হবে পুঁজিবাজারের অবস্থাও চাঙ্গা থাকবে।ব্যাংকিং খাত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন এখন ব্যাংক সেক্টর একটি ভালো অবস্থানে আসছে। আগে সরকারি ব্যাংকগুলো সরকার থেকে টাকা নিয়ে রিফাইন্যান্সিং করে চলতো। গত দুতিন বছর থেকে এর পরিবর্তন হয়েছে। এখন রিফান্ডিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারি ব্যাংকগুলোকে সুস্পষ্টভাবে আমরা বলে দিয়েছি আপনাদের আয় করেই ব্যয় করতে হবে। সেটিও তারা করে যাচ্ছে। সুতরাং সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংক সবাই একটু ভালো অবস্থানে আছে।ইত্তেফাকইউবি |
1,013 | অনলাইন ভ্যাট রিটার্ন দাখিলে টানা ১০ বার প্রথম কুমিল্লা | 2021-08-19 | কুমিল্লা প্রতিনিধি | অনলাইন ভ্যাট রিটার্ন দাখিলে এবারও প্রথম হয়েছে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটকুমিল্লা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন দেশের ১২টি ভ্যাট কমিশনারেট দপ্তরের মধ্যে কুমিল্লা কমিশনারেট এ নিয়ে টানা দশবার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট দপ্তর কুমিল্লার কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কুমিল্লা টানা দশবার শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। গত জুলাই মাসে এখানে রিটার্ন দাখিল হয়েছে ১০ হাজার ১৯৭টি। এর মধ্যে ম্যানুয়াল ৮টি ও অনলাইনে ১০ হাজার ১৮৯টি রিটার্ন দাখিল হয়। জুলাই মাসে অনলাইনে রিটার্ন জমার শতকরা হার ৯৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। করোনাকালে এ কার্যালয়ের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনের কারণে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।ইত্তেফাকএমআর |
1,014 | করোনাকালে সর্বকালের সর্বোচ্চ সঞ্চয়পত্র বিক্রি | 2021-08-19 | রেজাউল হক কৌশিক | করোনার কারণে পৃথিবীব্যাপী আর্থিক সংকট বিদ্যমান। আর এই সংকটের মধ্যেই বেড়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। আগের অর্থবছরের চেয়ে তিন গুণ বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। করোনার সময়ে একদিকে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে অন্যদিকে রয়েছে কর্ম হারানোর আশঙ্কা।এমন পরিস্থিতিতে মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। ফলে সঞ্চয়ও কমে যাওয়ার কথা। বাস্তবে ঘটেছে উলটোটা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এত বেড়েছে যে সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হলো এই করোনার সময়ে।সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকে সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ বলা হয়। এ কারণে মানুষ এই মহামারির সময়ে ভবিষ্যত্ নিয়ে সঙ্কিত। এই সময়ে নিরাপদ জায়গায় বিনিয়োগ করাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে সাধারণ মানুষ। নিরাপদ জায়গা বিবেচনা ছাড়াও মুনাফার দিক থেকে ব্যাংকের চেয়ে বেশি পাওয়া যায় সঞ্চয়পত্র থেকে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এ খাতেই বেশি ঝুঁকেছেন। বিদায়ি অর্থবছরে ২০২০২১ সরকার আগের অর্থবছরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ঋণ নিয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বিদায়ি অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে নিট প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে যা আগের অর্থবছরে ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে সদ্য শেষ হওয়া ২০২০২১ অর্থবছরে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর আগে কোনো বছরে এত বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়নি। সঞ্চয়পত্র বেশি বিক্রি হওয়ার কারণে সরকারের ওপর দায় বাড়ছে। এজন্য সরকার গত কয়েক বছর ধরেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমানোর জন্য নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে গত দেড় বছর ধরে দেশে করোনার প্রকোপ চলছে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতি মাসেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে। পাঁচ মাসেই পুরো বছরের বিক্রি প্রথম আলো ...ছবি সংগৃহীতআগের অর্থবছরগুলোর হিসাব দেখলে দেখা যায় এর আগে সবচেয়ে বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ২০১৮১৯ অর্থবছরে। ঐ অর্থবছরে ৯০ হাজার ৩৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। ২০১৯২০ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৬৭ হাজার ১২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। আর ২০১৭১৮ অর্থবছরে হয়েছিল ৭৮ হাজার ৭৮৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার যেখানে ২০১৬১৭ অর্থবছরে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৭৫ হাজার ১৩৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।অধিদপ্তরের তথ্যমতে গত অর্থবছরের সর্বশেষ মাস জুনে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। মে মাসে ছিল ২ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা এপ্রিল মাসে যা ছিল ১ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। এর আগে মার্চ মাসে নিট ঋণ এসেছিল ৩ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা জানুয়ারিতে ৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা ডিসেম্বরে ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা নভেম্বরে ৩ হাজার ৪০২ কোটি টাকা অক্টোবরে ৪ হাজার ৩৪ কোটি টাকা সেপ্টেম্বর মাসে ৪ হাজার ১৫২ কোটি টাকা আগস্টে ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা এবং অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা নিট ঋণ এসেছিল সঞ্চয়পত্র থেকে।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদআসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে তাকে নিট বিক্রি বলা হয়। বিক্রির ঐ অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা থাকে এবং সরকার তা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। এর বিনিময়ে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের প্রতি মাসে সুদ দিতে হয়। এ কারণে অর্থনীতির পরিভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ঋণ বা ধার হিসেবে গণ্য করা হয়। সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নিলেও এই ঋণে বেশি সুদ দিতে হয়। তাই সরকার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে জনগণকে নিরুত্সাহীত করতে সময়ে সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এবারের বাজেটে ২ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পোস্টাল সেভিংস কিনতে হলে কর শনাক্তকরণ নম্বর টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুত্সাহিত করতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের মে মাসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার গড়ে ২ শতাংশ করে কমানো হয়েছিল। ঐ সুদহারই এখন পর্যন্ত বহাল আছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন ব্যবসাবাণিজ্যে মন্দা ব্যাংকে আমানতের সুদহার কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ মনে করছেন। তাই বিভিন্ন শর্ত পরিপালন করেও সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। আজও ব্যাংক বন্ধ ....ছবি আব্দুল গনিবাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ ছাড়াও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ করে থাকে সরকার। তবে সামাজিক সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রে তুলনামূলক বেশি মুনাফা দেয় সরকার। প্রতি মাসের বিক্রি থেকে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদআসল পরিশোধের পর নিট ঋণ হিসাব হয়। এই অর্থ সরকার রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজে লাগায়।সঞ্চয়পত্র বিক্রির লাগাম টানতে ২০১৯২০ অর্থবছর থেকে এই খাতের বিনিয়োগে একের পর এক কড়াকড়ি আরোপ করতে থাকে সরকার। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের কড়াকড়ির পরেও কেন বিক্রি বাড়ছেএ বিষয়ে ব্যাংকাররা বলেছেন করনীতি কড়াকড়ি আরোপের পরও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ অনেক বাড়ছে।আগের অর্থবছর পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থের সঞ্চয়পত্র কিনতে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর টিআইএন সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। চলতি অর্থবছর থেকে এই সীমা বাড়ানো হয়েছে। ২০২১২২ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে ২ লাখ টাকার কম অর্থের সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন সার্টিফিকেট লাগছে না। সাধারণত বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার দুই উেসর আশ্রয় নিয়ে থাকে। বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ উত্স। চলতি অর্থবছরের ২০২১২২ বাজেটে অভ্যন্তরীণ উেসর ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বৈদেশিক উেসর প্রতি নির্ভরতা বাড়ানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ খাত থেকে এবার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। আর জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেবে ৩২ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা।বাজেটে বিদেশি উত্স থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। বৈদেশিক উৎসথেকে ঋণ পাওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে সেটাও এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। ২০২০২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় তা সংশোধন করে ৩০ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা করা হয়। ২০২১২২ অর্থবছরে সেটিকে আরো বাড়িয়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের ২৩ মের পর থেকে এই হার কার্যকর রয়েছে। এর আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি।ইত্তেফাকএএএম |
1,015 | নগদ অর্থসঙ্কটে বেসরকারি ১০ ব্যাংক | 2021-08-19 | জামাল উদ্দীন | ব্যাংকিং খাতে তারল্য প্রবাহ বাড়লেও বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংকে ক্যাশ ফ্লো সংকট কাটছে না। এ সময়েও এসব ব্যাংকে নগদ অর্থের সংকটকে সন্দেহের চোখে দেখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র। এই সূত্রমতে ঋণ বিতরণে অনিয়মসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবেই এমনটি ঘটেছে। নইলে যেখানে নগদ অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ ব্যাংকেই এখন অলস অর্থের পাহাড়। এই অলস অর্থ বিনিয়োগযোগ্য করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে বিপুল অর্থ তুলে নিয়েছে। সেখানে নগদ অর্থসংকটে থাকা মানেই ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাগত দুর্বলতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাও একই মত ব্যক্ত করেছেন। তাদের মতে সার্বিকভাবে এই পরিস্থিতি ব্যাংকগুলোর এক ধরনের সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এসব ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা কম। এসব ব্যাংক ঠিকমত পরিচালিত হচ্ছে না। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন যেখানে অন্যান্য ব্যাংকের তারল্য উদ্বৃত্ত রয়েছে সেখানে তারল্য সংকটে থাকা মানে এসব ব্যাংকের কোথাও কোনো মিসম্যাচ রয়েছে। হয়তো সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। কিংবা টাকা অন্য কোথাও খাটাচ্ছেএমনটিও হতে পারে।সূত্রমতে যে ১০টি ব্যাংক নগদ অর্থসংকটে রয়েছে সেগুলো হচ্ছেইস্টার্ন ব্যাংক এবি ব্যাংক এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংক প্রিমিয়ার ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ইউসিবি। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এসব ব্যাংকের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা ইস্টার্ন ব্যাংকের। তার পরেই এবি ব্যাংকের অবস্থান। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায় বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা বিরাজ করছে। যে কারণে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ কমেছে। বেড়েছে তারল্য প্রবাহ। এই উদ্বৃত্ত তারল্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে না পারায় অলস পড়ে আছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিকল্প হিসাবে বিল ক্রয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে কিছু সুবিধা দিয়েছে। আবার কোনো কোনো ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগও বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিককালে ব্যাংকগুলোর পরিচালনাগত মুনাফার বড় একটি অংশই এসেছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ থেকে। তথাপি কিছু ব্যাংক এ সময়ে তারল্য সংকটে ভুগছে। এসব ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা কিংবা পরিচালনা পর্ষদের অযাচিত হস্তক্ষেপ পরিচালকদের বেনামি ঋণ সমস্যাগুলো রয়েছেই। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় পরিদর্শন করা হলে মূল সমস্যা বের হয়ে আসবে। আমানতকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হলে তদারকির বিকল্প নেই। কেননা দেশের ব্যাংকিং খাতে এখন সুশাসনের অভাব প্রকট। ব্যাংকিং খাত সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে সার্বিক অর্থনীতির জন্য তা নেতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে। তাদের মতে ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত তারল্যের মধ্যে আলোচ্য ব্যাংকগুলোর অবস্থা অবশ্যই পর্যালোচনার দাবি রাখে। ব্যাংকগুলো হয়তো বেনামি ঋণ দিয়ে তা আদায় করতে পারছে না। কিংবা সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না। করোনার কারণে ব্যাংকগুলোর আদায়ের হারও কম সেটিও বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।ইত্তেফাকএমএএম |
1,016 | ৮০ পদে জনবল নেবে জীবন বীমা কর্পোরেশন | 2021-08-18 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | জীবন বীমা কর্পোরেশন শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের একাধিক শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের ৩১ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে।১. পদের নাম জুনিয়র অফিসারপদসংখ্যা ৮। চাকরির গ্রেড ১০বেতন স্কেল ১৬০০০৩৮৬৮০ টাকা।শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীকে যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। চার বছর মেয়াদি অনার্স ডিগ্রি অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমতুল্য গণ্য হবে।২. পদের নাম উচ্চমান সহকারীপদসংখ্যা ২। চাকরির গ্রেড ১৩।বেতন স্কেল ১১০০০২৬৫৯০ টাকা।শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীকে যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস হতে হবে। ৮০ পদে জনবল নিবে জীবন বীমা কর্পোরেশন ....৩.পদের নাম অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকপদসংখ্যা ৪৫। চাকরির গ্রেড ১৬।বেতন স্কেল ৯৩০০২২৪৯০ টাকা।শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ ও ইংরেজিতে ২৮ শব্দের গতি থাকতে হবে।৪. পদের নাম অফিস সহায়কপদসংখ্যা ২৫। চাকরির গ্রেড ২০।বেতন স্কেল ৮২৫০২০০১০ টাকা।শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীকে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। আবেদনের বয়স২০২১ সালের ১ আগস্ট প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানপোষ্যদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।স্নাতকে জীবন বীমা কর্পোরেশনে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পদ ৮০আবেদনের পদ্ধতিআগ্রহী প্রার্থীকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।আবেদনপত্র পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১ নম্বর পদের জন্য ৫৬০ টাকা ২ ও ৩ নম্বর পদের জন্য ৩৪০ টাকা এবং ৪ নম্বর পদের জন্য ২৩০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।ইত্তেফাককেকে |
1,017 | পর্দা নামলো আলেশা হোল্ডিংস ১ম এনডিএফ বিডি আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল বিতর্ক উৎসবের | 2021-08-18 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | পর্দা নামলো বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৩৫টি দেশের প্রায় সহস্রাধিক বিতার্কিকের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারেরমত টানা দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেড ১ম এনডিএফ বিডি আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল বিতর্ক উৎসব ২০২১।মঙ্গলবার বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ এনডিএফ বিডি আয়োজিত এই আয়োজনের চুড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষ হয়। সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব চ্যানেল আইর পরিচালক ও হেড অফ নিউজ শাইখ সিরাজ। এসময় তিনি বলেন যারা বিতর্ক করেন তাঁরা ভীষণ এগিয়ে থাকেন একটি আধুনিক বিশ্বে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ এনডিএফ বিডিকে অভিনন্দন জানাই এমন চমৎকার আয়োজনের জন্য।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ডক্টর বংশীধর মিশ্র বলেন আমি ভীষণ আনন্দিত এমন আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে।বিতর্কের জন্য আমরা অনেক কিছু জানতে পারি বুঝতে পারি এবং অনেক যুক্তি সেখান থেকে চলে আসে । আমি মনে করি এমন আয়োজন আমাদের সবসময় উজ্জীবিত করে।সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়এর সাবেক উপাচার্য ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দীন বলেন আমি প্রথমে সেই সকল তার্কিকদের যারা এমন আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত হো। আমরা কঠিন সময় অতিবাহিত করছি । এমন চমৎকার আয়োজন এমন কঠিন সময়ে এমন আয়োজন এনডিএফ বিডি অবাক করেছে । এমন আয়োজন থেকে এনডিএফ বিডি সারা বিশ্বে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা সদরদপ্তরের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির বলেন বিতর্ক আমাদের শুদ্ধ করে । আমরা যদি আমাদের এগিয়ে নেতে যায় তাহলে এমন আয়োজনের বিকল্প নেই। আমি ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশএনডিএফ বিডিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই এমন চমৎকার আয়োজনের জন্য। আমরা নতুন নতুন ভাষা শিখবো যা আমাদের অনেক বিষয়ে সাহায্য করবে।এনডিএফ বিডির কোচেয়ারম্যানআন্তর্জাতিক আমিরুল ইসলাম তুষার তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেনএমন আয়োজনে যারা সম্পৃক্ত হয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। একজন বিতার্কিক জানে কিভাবে দলীয় কাজ করতে হয় কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়।আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেড ১ম এনডিএফ বিডি আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল বিতর্ক উৎসব ২০২১ এর মিডিয়া পার্টনার দৈনিক ইত্তেফাকচ্যানেল আই সারাবাংলা ডট নেটপিপলস রেডিও ৯১.৬ এফএম। আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল বিতর্ক উৎসবএর স্ট্রাটেজিক পার্টনার বাংলাদেশ ডিবেট কাউন্সিল ও সেন্ট্রো ভার্চুয়াল পার্টনার ই স্কুল অফ লাইফ গ্লোকাল লার্নিং ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।ইত্তেফাকআরকে |
1,018 | বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্ততায়িত হলেই তার আত্মার মাগফেরাত কামনা হবে আইডিআরএ চেয়ারম্যান | 2021-08-18 | নিজস্ব প্রতিবেদক | বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছর জীবিত ছিলেন তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি শহীদ হযেছেন। তাই তার আত্মার মাগফেরাত কামনার কিছু নেই। শহীদরা বিনা হিসেবে বেহেস্তবাসী। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা তখনি হবে যখন আমরা তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারব।মঙ্গলবার এনআরবি ইসলামিক লাইফের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবস ও মিলাদ মাহফিলে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন।তিনি বলেন আমরা এমন এক পেশায় নিয়োজিত যে পেশা বেছে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এটা আমাদের গর্ব। দেশের বীমা খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাকে বিনা অপরাধে নিহত করা হয়েছে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তাই আমরা যদি সোনার বাংলা গড়তে স্বচেষ্ট হই তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারি তাহলে তার প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তার কিছুটা লাগব হবে।তিনি বলেন জাতির পিতার কন্যা দেশের বীমা খাতকে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট। তিনিই বীমা উন্নয়নে বীমা আইন ও আইডিআরএ গঠন করেছেন। নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আমারা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে পারলে বীমার মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা রাখা যাবে।বীমাকে মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছানোর মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। মঙ্গলবার বাংলামোটর নাভানা জোহরা কটেজে এনআরবি ইসলামিক লাইফ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন কোম্পনির চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মাদ।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কোম্পনির চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মাদ বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতো। তিনি তার কর্ম জীবন শুরু করেছিল আলফা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে। তাই সোনার বাংলা গড়তে হলে বীমাকে মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছাতে হবে। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ স্বাধীন করার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তখন অনেকে তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিল। কিন্তু তিনি তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমি তার আদর্শে উজ্জীবিত। আমি মনে করি আমি অবশ্যই পারবো বীমাকে মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছে দিতে।এনআরবি ইসলামিক লাইফ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও মিলাদ মাহফিলের এ অনুষ্ঠানে কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী এ. কে. এম মোস্তাফিজুর রহমান এম মাহফুজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে কোম্পানির চেয়ারম্যানেরসহধর্মিনী রোম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হোসনে আরা বেগম বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ জামাল হাওলাদার।ইত্তেফাকআরকে |
1,019 | বেকার যুবককে মোটোরবাইক দিল রোটারী ক্লাব অব ঢাকা অবনী | 2021-08-18 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে রোটারী আন্তর্জাতিক জেলা ৩২৮১ একটি সেমিনার ওয়েবিনারসহ অনুষ্ঠিত হলো। এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ইউনাইটেড নেশনস ভলান্টিয়ারস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার। অনুষ্ঠানটির স্বার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল রোটারী ক্লাব অব ঢাকা অবনী ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন বিশেষ অতিথি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক আব্দুল কাইয়ুম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আখতারুজজামান খান কবির ইউএন ভলান্টিয়ারস বাংলাদেশের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর আকতার উদ্দিন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রাকিবুল আমিন রোটারী জেলা গভর্নর ব্যারিস্টার মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী ও রোটারী ক্লাব অব ঢাকা অবনীর সভাপতি তুহিন আব্বাসসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে কীনোট উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক কমিউনিটি মেডিসিন ডা. অনুপম হোসেন। এসময় একজন বেকার যুবককে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে একটি মোটরবাইক প্রদান করা হয়।ইত্তেফাকআরকে |
102 | ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে মসলার ঝাঁজ | 2022-07-01 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | আগামী ১০ জুলাই দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। শুক্রবার ১ জুলাই রাজধানীর কাওরান বাজার হাতিরপুল কাঁচা বাজার পলাশী বাজার কেল্লারমোড় বাজার এ চিত্র পাওয়া গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮১০ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজের এমন দাম বাড়ার বিষয়ে পলাশি বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস মিয়া জানান সামনে কোরবানির ঈদ। এই ঈদে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। এছাড়া বৃষ্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার কারণেও দাম বেড়েছে। ..... কাওরান বাজারের একটি মসলার দোকান। ছবি ফরহাদ হোসেন ... . পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্য মসলার দামও বেড়েছে। বাজারে রসুন ১২০১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০১২০ টাকা। ১০০১৩০ টাকার আদা আজ ১৫০১৭০ টাকায় ৪০০ টাকার জিরা ৪৪০৪৭০ টাকায় ২২০২৪০ টাকার হলুদ গুড়া ২৫০৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মসলার মধ্যে দারচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। সেই সঙ্গে ধরনভেদে এলাচ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লবঙ্গ এক হাজার ৮০০ টাকা কিসমিস ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। |
1,020 | সুপার বোর্ডে যুক্ত হলো পিভিসি শীট | 2021-08-18 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | সম্প্রতি দেশের একমাত্র সুপার ব্র্যান্ড এওয়ার্ড প্রাপ্ত পার্টিকেল বোর্ড ব্র্যান্ড সুপার বোর্ড নিয়ে এলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পিভিসি শীট। টি. কে গ্রুপের প্রধান কার্যালয় টি. কে ভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই নতুন পণ্য উদ্বোধন করেন টি. কে গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার।মোস্তফা হায়দার সকল বিক্রয়কর্মীদের নতুন এই পণ্য বাজারজাতকরণে অনুপ্রাণিত করেন এবং বলেন সততা ও নিষ্ঠার সাথে পরিশ্রম করে সুপার বোর্ড কে বাজারে শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে।তিনি আরও বলেন টি.কে. গ্রুপ এর বিভিন্ন ইউনিট সবসময় ভোক্তা সাধারণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন নতুন সময়োপযোগী মানসম্মত পণ্য বাজারজাত করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু করলো সুপার বোর্ড পিভিসি শীট। এই পণ্য ভোক্তা সাধারণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের পরিচালক প্রোডাকশন ও টেকনিক্যাল খোরশেদ আলম পরিচালক মার্কেটিং মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক পরিচালক ফিন্যান্স ও অপারেশন্স শফিউল আতহার তসলিম সুপার বোর্ডএর হেড অব বিজনেস মোহাম্মদ নুরুন নবীসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাকর্মচারীগণ।ইত্তেফাকআরকে |
1,021 | আলেশা কার্ড এবং আমারি ঢাকা হোটেলের চুক্তি | 2021-08-17 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | ইচ্ছেরা সব হাতের মুঠোয় এই স্লোগান নিয়ে সম্প্রতি বাজারে আসা আলেশা কার্ড ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আমারি ঢাকা হোটেলের সাথে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আলিশা কার্ড কর্তৃপক্ষ।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় চুক্তি অনুযায়ী আলেশা কার্ড হোল্ডাররা আমারি ঢাকা হোটেলের রুম এবং ব্যাংকুয়েট হল বুকিংয়ে ৫০ ডিস্কাউন্ট সুবিধা পাবেন। এছাড়াও আমারি ঢাকা হোটেলে ব্রিজ স্পা ট্রিটমেন্টে ১৫ এবং ক্যাসকেড লবি লাউঞ্জ ও আমায়া ফুড গ্যালারিতে ১০ ডিস্কাউন্ট পাবেন আলেশা কার্ড হোল্ডাররা। মঙ্গলবার ১৭ই আগস্ট আমারি ঢাকা হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আলেশা কার্ডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জান্নাতুন নাহার হেড অব কার্ড মোঃ সোহরাব হোসেন ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার মোঃ রিফাত হোসেন এবং ব্র্যান্ড এন্ড মার্কেটিং ম্যানেজার মোঃ তারিক আজিজ।এছাড়াও আমারি ঢাকা হোটেলের পক্ষ থেকে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার ক্রিস্টোফার বেকার ডিরেক্টর অব ফাইনান্স রফিকুল ইসলাম এবং মার্কেটিং অ্যান্ড কমুনিকেশন সিনিয়র ম্যানেজার সাবরিনা মৃধা। সম্প্রতি যাত্রা শুরু করেছে আলেশা কার্ড যা আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। দেশজুড়ে ৯০টি ক্যাটাগরিতে তিন হাজারেরও বেশি পার্টনারদের কাছ থেকে আলেশা কার্ড হোল্ডারগণ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবেন। এক বছর মেয়াদী কার্ডটির ক্রয়মূল্য ৭৯৮০ টাকা। সকল মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা কার্ডটি পাচ্ছেন একদম ফ্রি ও ৬৫ বয়সোর্ধ্ব ব্যক্তিগণ ৫০ ছাড়ে পাচ্ছেন আলেশা কার্ড। |
1,022 | রিকশাচালকদের রেইনকোর্ট দিলো জেসিআই | 2021-08-17 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | রিকশা চালকদের রেইনকোর্ট দিলো জেসিআই ঢাকা ইয়াং ও ঢাকা ওয়েস্ট। মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট গুলশান এলাকায় শতাধিক রিকশাচালককে রেইন শেল্টার ২০২১ কর্মসূচির আওতায় এই রেইন কোটগুলো দেওয়া হয়েছে। একই সময়পিজ্জাওয়ালার পক্ষ থেকে মাস্কও দেওয়া হয়েছে। আয়োজকরা জানান রিকশাচালকরা অনেক কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বৃষ্টিতে রিকশা চালানো আরও কষ্টকর। সামান্য আয় থেকে রোইনকোর্ট কেনার সামর্থ্য তাদের অনেকেরই নেই। ফলে বৃষ্টিতে ভেজার কারণে তারা বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধিতেও আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এতে শারীরিক সমস্যা বাড়ে। তাদের কষ্ট লাঘব করতে জেসিআই ঢাকা ইয়াং ও জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন। ভবিষ্যতেও এই ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই ঢাকা ইয়াংয়ের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন সবুজ জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের প্রেসিডেন্ট ত্বহা ইয়াছিন রমাদান জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের প্রেসিডেন্ট মো. আশিকুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন জেসিআই ঢাকা ইয়াং ও ওয়েস্টের বোর্ড মেম্বারসহ সদস্যরা। এই অনুষ্ঠানের মূল সমন্বয়ক ছিলেন জেসিআই ঢাকা ইয়াংয়ের লোকাল জেনারেল লিগ্যাল কাউন্সিল রাবেয়া নাসির অভি। জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল জেসিআই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদ্যমী তরুণদের সংগঠন। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআইয়ের ১৮ টি লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে।ইত্তেফাকএসএইচ |
1,023 | সূচকের বড় উত্থান বেড়েছে লেনদেন | 2021-08-17 | ইত্তেফাক রিপোর্ট | আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসই সব কটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। সেই সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।গতকাল লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। শুরুতে মূল্যসূচকের উত্থান হওয়ায় নতুন মাইলফলকে পৌঁছে যায় শেয়ারবাজার। প্রথমবারের মতো ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৭০০ পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করে। লেনদেনের শেষ দিকে এসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরো বাড়ে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে যা সূচকটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ইসলামি শরিয়াহর ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ দুটি সূচকও এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। সব কটি মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামও বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির। আর ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২ হাজার ৬৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৯২ কোটি ২২ লাখ টাকা। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ায় তদন্ত করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ..টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের ৯০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেসাইফ পাওয়ার টেক মালেক স্পিনিং মিলস কেয়া কসমেটিকস ইসলামীক ফাইন্যান্স বিডি ফাইন্যান্স ড্রাগন সোয়েটার ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৬টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।ইত্তেফাকইউবি |
1,024 | স্বপ্ন’র লেনদেন রশিদে বিপিএ কেমিক্যাল নেই | 2021-08-16 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ডিজিটাল মিডিয়ার একটি প্রতিবেদনে সূত্র ধরে জনমনে আশংকা তৈরি হয়েছে যে বিভিন্ন ব্যাংক সুপারশপ শপিংমল রেস্টুরেন্টসহ নানা জায়গার বিল পেপারে ব্যবহার করা হয় বায়োসপেনল বিপিএ কেমিক্যাল। এমনকি কোমল পানীয় বোতলেও বিপিএ পাওয়া গেছে। চেইন সুপারশপ স্বপ্ন এমন দাবি জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে স্বপ্নর কর্মাশিয়াল পার্চেস ম্যানেজার মাহবুব ইবনে হক বলেন আমাদের লেনদেন রশিদে যে কাগজ ব্যবহার করা হয় তাতে ক্ষতিকারক বিপিএ বা বায়োসপেনল কেমিক্যাল নেই। আমাদের সাপ্লায়ার মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করছি।এ বিষয়ে মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের ডিরেক্টর শেখ ইমরান হোসাইন বলেন স্বপ্ন সুপারশপের সব স্টোরে হ্যানসল থার্মাল পেপার ব্যবহার করা হয় যার সরবরাহদাতা আমার প্রতিষ্ঠান। এটি বিপিএ বা বায়োসপেনল কেমিক্যাল মুক্ত অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না। আমাদের কাছে হ্যানসল থেকে পাঠানো সার্টিফিকেটও আছে। এছাড়া এসজিএস টেস্ট রিপোর্টেও কোনো ধরনের ক্ষতিকারক বিপিএ পাওয়া যায়নি। আমরা সেই সার্টিফিকেট ও প্রমাণপত্র স্বপ্ন কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি।দেশের বৃহত্তম চেইন সুপারশপ স্বপ্ন ভোক্তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে। এরই অংশ হিসেবে সুপারশপটি নিয়মিত বিপিএ বা বায়োসপেনল কেমিক্যাল মুক্ত লেনদেন রশিদ গ্রাহকদের দেন । |
1,025 | জেসিআই ঢাকা আপটাউনের ‘দক্ষতা উন্নয়ন’ বিষয়ক কর্মশালা | 2021-08-16 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | জেসিআই ঢাকা আপটাউন সম্প্রতি রাজধানীর বনানী ক্লাবে দলগত দক্ষতা বিকাশে পেশাজীবীদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে।দলগত কাজের মাধ্যমে কীভাবে ব্যক্তির দক্ষতা বাড়ানো যায় এসব বিষয় সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করা হয়। নানা প্রায়োগিক বিষয় আলোচনা করা হয় এই কর্মশালাতে। নিজের কর্মক্ষতা বাড়িয়ে কীভাবে একজন পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন সে বিষয়ে সার্বিক ধারণা দেওয়া হয় অংশগ্রহণকারীদের। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন কর্পোরেটপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী। অনুষ্ঠানটির স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিলো সেলট্রন ইলেক্ট্রা ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস। প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল মার্কেটিং কোঅর্ডিনেটর জাহিদ হোসেন রনি এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।জেসিআই ঢাকা আপটাউনের স্থানীয় অধ্যায়ের সভাপতি সিনেটর রেজওয়ানুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মশালার সূচনা করেন। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন পেশাদার প্রশিক্ষক ইমরান নেওয়াজ খুরশিদ। কর্মশালার মডারেটর ছিলেন নাইমুল কাদের।ইত্তেফাকএসজেড |
1,026 | সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারী করদাতার তথ্য যাচাই করবে এনবিআর | 2021-08-16 | ইত্তেফাক রিপোর্ট | সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারী করদাতার তথ্য যাচাইবাছাই করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। সঞ্চয়পত্র অধিদফতর অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের এপিআই মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কর অঞ্চলগুলোর সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এর ফলেই এনবিআর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারী করদাতার তথ্য যাচাই করতে পারবে। নতুন ভ্যাটে মূল্য স্ফীতি হবে না এনবিআর ....এনবিআর সূত্রে জানা গেছে এপিআইয়ের আওতায় জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর কর অঞ্চলগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেবে। যা ব্যবহার করে কর অঞ্চলগুলো করদাতার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের হিসাব ক্রস চেক বা মূল্যায়নের সুযোগ পাবে। আরো জানা গেছে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি কর অঞ্চলকে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ৩১টি কর অঞ্চলকেও ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। যার প্রক্রিয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন রাজস্ব বোর্ড করের আওতা বাড়াতে কাজ করছে। কর অঞ্চলগুলোর সঙ্গে সঞ্চয়পত্র অধিদফতরের সমন্বয়ের বিষয়টি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর ২০২১২২ অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। যা গত অর্থ বছরের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।ইত্তেফাককেকে |
1,027 | ‘পানির দরে’ কেনা কাঁচা চামড়া চড়া দামে বিক্রি | 2021-08-16 | মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম অফিস | রীতিমতো পানির দামে কেনা কোরবানির পশুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। নগরীর আড়তদার পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে কাঁচা চামড়ার মজুদ শেষ হয়ে গেছে। নগরীর বাইরে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে লবণযুক্ত প্রায় ১ লাখ পিস চামড়া এখনো অবিক্রীত রয়েছে। দরে দামে বনিবনা না হওয়ায় এসব চামড়া এখনো রয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। আড়তদার ব্যবসায়ীরা জানান নগদে বাকিতে চামড়া বিক্রি হয়েছে। তবে আগের বকেয়া টাকা পরবর্তীতে কিস্তিতে পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ইত্তেফাককে বলেন দুই আড়াই মাস পর্যন্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয়ে থাকে। চলতি মাসের মধ্যে ৬০ শতাংশ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কেনা হচ্ছে। বিদেশি অর্ডার আরও পরে পাওয়া যাবে। আশা করি রপ্তানি বাজার ভালো পাব। লকডাউনের প্রভাবে ব্যস্ততা নেই সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে ....আড়তদার ব্যবসায়ীরা জানান চট্টগ্রামে এই বছর আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩ লাখ দেড় হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন। তার মধ্যে ২ লাখ পিস চামড়া নগরীর আড়তদার ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করেছেন। নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় আড়তগুলোতে এসব কাঁচা চামড়া লবণযুক্ত করে মজুদ রাখা হয়েছে। ঢাকার ট্যানারিগুলো চট্টগ্রাম থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে থাকেন। প্রায় ২০২৫টি ট্যানারির সঙ্গে চট্টগ্রামের আড়তদার চামড়া ব্যবসায়ীরা লেনদেন করে থাকেন। তাদের কাছে চট্টগ্রামের আড়তদার ব্যবসায়ীদের প্রায় ২০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন বলেন আড়তদারদের কাছে মজুত লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। সরকারনির্ধারিত দরে ট্যানারিগুলো লবণযুক্ত চামড়া কিনেছে। নগদে বাকিতে মিলিয়ে চামড়া বিক্রি হয়েছে। নগরীর বাইরে প্রায় ১ লাখ পিস কাঁচা চামড়া অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে। ট্যানারিগুলো আগের বকেয়া টাকা পরবর্তীতে কিস্তিতে পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে।ইত্তেফাকএমআর |
1,028 | দেশের ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অগ্রযাত্রায় মাইলফলক আরময়ের | 2021-08-15 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | আজ দেশের অন্যতম উইমেন অনলাইন ক্লথিং শপ আরময়ের। চলমান রীতিকে চ্যালেঞ্জ জানানো এবং উদ্ভাবনতাদের এই অবস্থানে আসার পেছনে এ দুটিই প্রধান কারণ।২০১৭ সালে নাজিয়া হাসান এই অনলাইন ব্রান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন। একটি ছোট ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন স্টোর হিসাবে তাদের যাত্রা শুরু করেছিলো। আরময়ের মহিলাদের শাড়ি সালোয়ার কামিজ কুর্তি শাড়ি ও বাচ্চাদের ড্রেস নিয়ে কাজ শুরু করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তারা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।পরর্বতীতে তাদের গ্রাহকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ব্যাবসার পরিধি বৃদ্ধি করে প্রথম বনানীতে ২০১৮ সালে প্রথম শোরুম নেন। বর্তমানে পিংক সিটি শপিং মল ও উত্তরা জমজম টাওয়ারে তাদের দুটি শোরুম আছে। ২০২০ সালে নিজেদেরকে একটি লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বর্তমানে আরময়ের এ মহিলাদের সুজ জুয়েলারি ও পোশাকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সকল জিনিস পাওয়া যায়।আরময়েরএর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান নাজিয়া হাসান এবং ব্যবস্থপনা পরিচালক সায়মা হারার লক্ষ্য ছিলো মার্জিত রুচিশীল ও ট্রেন্ডি পোশাককে এমন ভাবে মানুষের দোরগোড়ায় কাছে পৌঁছে দেওয়া যেন ঘরে বসে স্বল্প মূল্যে নিত্য নতুন ও ফ্যাশনেবল কাপড় সাচ্ছন্দের সাথে পরতে পারে। যেটি তারা আজ পেরেছেনআরময়েরএর মাধ্যমে।আরময়েরএর বিশেষ দিক হলো দেশি ও বিদেশি সব ধরনের কাপড়ই আরময়ের এ সহজলভ্য। দেশের বিভিন্ন শপে যেখানে একটি নির্দিষ্ট ধাঁচেই প্রোডাক্ট বিক্রি করে সেখানে আরময়ের ব্যাতিক্রম কিছু পন্থায় প্রোডাক্ট বিক্রি করে।আজকাল অনেক ফ্যাশন ব্র্যান্ড তৈরি হচ্ছেকিন্ত ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই টিকে থাকতে পারছে না। কিন্তু আরময়ের এখনও এগিয়ে যাচ্ছে এবং সমসাময়িক ফ্যাশনের প্রতি তাদের উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ব্যবসায় ব্যাপক উন্নতি করছে। ব্র্যান্ডটি এত নির্ভরযোগ্য এবং আশ্চর্যজনক ভাবে জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণই হচ্ছে তাদের নতুন উদ্ভাবন এবং চলমান রীতিকে চ্যালেন্জ জানানো।বর্তমানে তাদের ফেসবুকে ৫.৫ লক্ষ্যধিক ফলোয়ারস আছে।ইত্তেফাকজেডএইচডি |
1,029 | শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ তদারকি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক | 2021-08-13 | রেজাউল হক কৌশিক | করোনায় ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করার জায়গা পাচ্ছে না। এজন্য অনুৎপাদনশীল অনেক খাতে টাকা ঢালছে ব্যাংকগুলো। মূলত তহবিল ব্যবস্থাপনার খরচ উঠাতে কিংবা বাড়তি লাভের আশায় ব্যাংকগুলো এ কাজ করছে যা ব্যাংকের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার অলস টাকা বেশি থাকায় সে টাকার অপব্যবহারও হতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এবার শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ তথ্য তদারকির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে দৈনিক ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে মুদ্রাবাজারের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে। এমনকি ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারিসহ দৈনিক কোথায় কী পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে তাও জানাতে হবে। প্রতি কার্যদিবসের তথ্য বিকাল ৫টার মধ্যে পাঠাতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে চিঠি দিয়ে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান করোনা সংক্রমণের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারি প্রণোদনার আওতায় কম সুদের ঋণের একটি অংশ অন্য খাতে চলে যাচ্ছে। যেমন শেয়ারবাজার জমি ফ্ল্যাট কেনাসহ অনুত্পাদনশীল খাতে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য পেয়েছে। এ কারণে গত ২৫ জুলাই সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়। এছাড়া প্রণোদনার আওতায় ঋণের ব্যবহারসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পরবর্তী সময়ে আরো একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঋণের সঠিক ব্যবহার যাচাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ দৈনিক ভিত্তিতে মুদ্রাবাজারে লেনদেন ও বিনিয়োগের তথ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ...ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে মুদ্রাবাজারে দৈনিক লেনদেনের তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী পাঠাতে হবে। দৈনিক ভিত্তিতে বিকাল ৫টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগে এ তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের নিজস্ব বিনিয়োগের তথ্য পাঠাতে হবে। যেখানে নতুন বিনিয়োগ মোট বিক্রয়মূল্য সেল ভ্যালু ও নেট এক্সপোজার পাঠাতে হবে। প্রতিদিনের মার্জিন ঋণের পরিমাণ স্থিতি ও সমন্বয় জানাতে হবে। এছাড়া নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারিতে প্রতিদিনের ঋণসীমা তহবিল ছাড় তহবিল সমন্বয় এবং নেট এক্সপোজারের তথ্য দিতে হবে।প্রসঙ্গত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে গত জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে একবারে অলস পড়ে আছে ৬২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবে সে বিষয়ে উপায়ান্তর করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ফলে অনুত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ব্যাংকগুলো।ইত্তেফাকজেডএইচডি |
103 | শনিবার ব্যাংক খোলা | 2022-07-01 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে শনিবার ২ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এতে বলা হয় হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে হজ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান প্রধান শাখা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শনিবার পূর্ণ দিবস খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো। |
1,030 | কমলো চালের আমদানি শুল্ক | 2021-08-13 | ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক | বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে সরকার। এই সুবিধা আগামী আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।বৃহস্পতিবার ১২ আগস্ট এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এর আগে গত বছর দাম বাড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে ও আমদানি উৎসাহিত করতে চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশে নামানো হয় যার মেয়াদ গত এপ্রিলে শেষ হয়। এরপর আর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ফলে মে মাস থেকে যথারীতি ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করে চাল আমদানি করতে হতো। প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি খাদ্যমন্ত্রী ..চাল আমদানি শুল্ককর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ৬ জুলাই এনবিআরকে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করলো এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে চাল আমদানিতে ১৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি ছাড়াও ৫ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্যাক্স এটি ও ৫ শতাংশ অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স এআইটি পরিশোধ করতে হবে। এই সুবিধা কেবলমাত্র বয়েল্ড ও নন বয়েল্ড আতপ চালের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বাসমতি বা অন্য কোনো ধরনের চাল আমদানিতে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।ইত্তেফাকজেডএইচডি |
Bangla-Financial-news-articles-Dataset
A Comprehensive Resource for Analyzing Sentiments in over 7600+ Bangla News.
Downloads
🔴 Download the "💥Bangla_fin_news.zip" file for all "7,695" news and extract it.
About Dataset
Welcome to our Bengali Financial News Sentiment Analysis dataset! This collection comprises 7,695 financial news articles extracted, covering the period from March 3, 2014, to December 29, 2021. Utilizing the powerful web scraping tool "Beautiful Soup 4.4.0" in Python.
This dataset was a crucial part of our research published in the journal paper titled "Stock Market Prediction of Bangladesh Using Multivariate Long Short-Term Memory with Sentiment Identification." The paper can be accessed and cited at http://doi.org/10.11591/ijece.v13i5.pp5696-5706.
We are excited to share this unique dataset, which we hope will empower researchers, analysts, and enthusiasts to explore and understand the dynamics of the Bengali financial market through sentiment analysis. Join us on this journey of uncovering the hidden emotions driving market trends and decisions in Bangladesh. Happy analyzing!
About this directory
Directory Description: Welcome to the "Bangla_fin_news" directory. This repository houses a collection of 7,695 CSV files, each containing valuable financial news data in the Bengali language. These files are indexed numerically from 1 to 7695, making it easy to access specific information for analysis or research.
File Description: Each file contains financial news articles and related information.
example:
File: "1.csv"
Columns:
Serial: The serial number of the news article.
Title: The title of the news article.
Date: The date when the news article was published.
Author: The name of the author who wrote the article.
News: The main content of the news article.
File: "2.csv"
Columns:
Serial: The serial number of the news article.
Title: The title of the news article.
Date: The date when the news article was published.
Author: The name of the author who wrote the article.
News: The main content of the news article.
[… and so on for all 7,695 files …]
Each CSV file within this directory represents unique financial news articles from March 3, 2014, to December 29, 2021. The dataset has been carefully compiled and structured, making it a valuable resource for sentiment analysis, market research, and any investigation into the dynamics of the Bengali financial market. Feel free to explore, analyze, and gain insights from this extensive collection of Bengali financial news articles. Happy researching! ❤❤
- Downloads last month
- 47