date
stringclasses 5
values | title
stringlengths 6
64
| subtitle
stringlengths 3
47
⌀ | author
stringlengths 4
56
⌀ | comment
stringlengths 1
3
⌀ | ref
stringlengths 109
465
| section
stringclasses 15
values | media
stringclasses 2
values | page
int64 1
5
| tags
stringlengths 4
118
⌀ | content
stringlengths 295
16.5k
| article_id
int64 1.57M
1.57M
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
2019-01-01 | মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণার বর্ণনা তাজুল মোহাম্মদের | টরন্টোয় পাঠশালার বিজয় দিবসের আসর | উত্তর আমেরিকা অফিস | null | https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1572837/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | northamerica | print | 1 | null | দর্শন-শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞান চর্চার প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠশালা’র দশম আসরটি হয়ে গেল ১৫ ডিসেম্বর. এগলিন্টন স্কয়ার টরন্টো পাবলিক লাইব্রেরিতে। বিজয় দিবস সামনে রেখে সাজানো হয় আসরটি। এবারের আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক চারণ-গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য রচনার জন্য ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০১৫’ প্রাপ্ত লেখক তাজুল মোহাম্মদ। উল্লেখ্য. গত শতকের আশির দশকের শুরুর দিক থেকে অদ্যাবধি. চার দশক ধরে. চারণের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে. ক্ষেত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য. ইতিহাস তুলে এনে তাজুল মোহাম্মদ রচনা করেছেন ৫৫টি গ্রন্থ। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার সাধনপুর গ্রামে জন্ম তাজুল মোহাম্মদের। শিক্ষা ও চাকরিজীবন বৃহত্তর সিলেটেই। ১৯৭১ এ দক্ষিণ কুলাউড়া সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি. কুলাউড়ায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় অবস্থানে (৭৪-৭৭). সিলেট জেলা খেতমজুর সমিতির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (৮২-৯২). বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সদস্য (৮৪-৯২). বালাগঞ্জ উদীচীর সহসভাপতি ও খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির সহসভাপতি ও দুটোরই জাতীয় পরিষদের সদস্য তিনি। তাজুল মোহাম্মদের নেতৃত্বে সফল খেতমজুর আন্দোলন হয়েছে সিলেটের এওলারটুক. চারখাই এবং বালাগঞ্জে। তাজুল বৃহত্তর সিলেট ইতিহাস প্রণয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তাজুল মোহাম্মদ কুরিয়ার হিসেবে কাজ করেন।তাজুল মোহাম্মদ রচিত প্রায় সব বইই মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ-সংগঠক. প্রত্যক্ষদর্শী. সহায়তাকারীদের বয়ানে গণহত্যা. মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা. আলবদর-রাজাকার-আল শামসের নারকীয় কর্মকাণ্ড. গবেষক হিসেবে নিজের তথ্য সংগ্রহের অভিজ্ঞতা. নিজে দেখা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি ঠাঁই পেয়েছে বইগুলোতে। আর ছয়-সাতটি বই মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলার নানা ঐতিহাসিক সংগ্রামে ও সমাজ-জীবনে ভূমিকা রাখা আলোকিত ব্যক্তিত্বের ওপর। সদ্য প্রয়াত তারামন বিবির ওপর ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি. বীরপ্রতীক’ শিরোনামে তাঁর লেখা একটি বই আছে।বামপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাজুল মোহাম্মদের লেখালেখি শুরু আশির দশকের শুরুতে। রাষ্ট্রযন্ত্রের চরম বৈরিতা. স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হুমকি. যাতায়াত ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদির অপ্রতুলতা—এসবের মধ্যেও তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে. প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে. সাপ্তাহিক ‘সচিত্র সন্ধানী’তে ধারাবাহিকভাবে লিখতে শুরু করেন সিলেটের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে- ‘সিলেটে গণহত্যা’; যা পরে জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে। ‘সিলেটে গণহত্যা’ বইটি দিয়ে দেশজুড়ে পরিচিত হন লেখক তাজুল মোহাম্মদ। এরপর একটানা লিখে গেছেন।চারণ-গবেষক তাজুল মোহাম্মদ ঘুরেছেন গ্রামে. জনপদে। মিশেছেন অসংখ্য মানুষের সঙ্গে। বাস্তবতা থেকে আহরণ করেছেন তথ্য। ১৯৮০ থেকে এ কাজ করে চলেছেন তিনি। ঘরে বসে বইপত্র. পত্র-পত্রিকা থেকে তথ্য আহরণ নয়. একেবারে উৎসের কাছাকাছি ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ। এর ভিত্তিতে রচিত হয়েছে তাঁর অনেকগুলো গ্রন্থ। ধীমান গবেষক তাজুল মোহাম্মদ তৃণমূল পর্যায়ে অতি শ্রমসাপেক্ষ তথ্যানুসন্ধানের কাজে রয়েছেন একনিষ্ঠভাবে ব্রতী। এ কাজগুলো করতে গিয়েই তাঁর জীবনে আসে হুমকি। বাধ্য হন ১৯৯৫ সালে প্রবাস জীবন বরণ করে নিতে। বর্তমানে তিনি কানাডার মন্ট্রিয়েল প্রবাসী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সাহিত্য প্রকাশের কর্ণধার মফিদুল হক বলেন. ‘চারণের মতো ঘুরে ঘুরে আঞ্চলিক ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় তাজুল মেলে ধরেছেন সবার কাছে। তাঁর প্রতিটি গ্রন্থ সরেজমিন অনুসন্ধান. বহু মানুষের সঙ্গে আলোচনা এবং বিবিধ উপায়ে তথ্য আহরণের ফসল। ফলে তাঁর গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধ জানা-বোঝার জন্য হয়ে ওঠে অপরিহার্য। তাজুল কোনো আরাম কেদারাশ্রয়ী গবেষক নন. তিনি চারণের মতো ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেন তথ্য. অতীত ঘটনার অংশী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার ও কথোপকথনের মাধ্যমে দাঁড় করান ইতিহাসের ভাষ্য এবং এভাবে তাঁর প্রণীত প্রতিটি গ্রন্থ হয়ে ওঠে অনন্য ও বিশিষ্ট।’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে ১৯৯৫ সালে. ইংল্যান্ডের টোয়েন্টি টোয়েন্টি টেলিভিশন নির্মিত আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়ার ক্রাইমস ফাইলে’ তাজুল মোহাম্মদের তৃণমূল গবেষণা তথ্যগুলো বিশেষভাবে সংযোজিত হয়। হাওয়ার্ড ব্রাডবার্ন এর পরিচালনায় ও রিপোর্টার ডেভিড বার্গম্যানের রিপোর্টিংয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় তথ্যচিত্রটি। ‘ওয়ার ক্রাইমস ফাইল’ টিমে তাজুল যুক্ত হন গবেষণা কাজে।আসরের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পাঠশালার আসরে তাজুল মোহাম্মদ সাক্ষাৎকারভিত্তিক আলাপচারিতায় যোগ দেন পাঠশালার সমন্বয়ক. লেখক-অনুবাদক ফারহানা আজিম শিউলীর সঙ্গে। এই একান্ত আলোচনায় উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় সবগুলো গ্রন্থ রচনার সার কথা. তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের অভিজ্ঞতা. প্রতিনিয়ত বৈরিতা মোকাবিলার কথা।তাজুল বলেন. তিনি পরিকল্পিতভাবে কিছু শুরু করেননি। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রায় কিশোর বয়স থেকে এবং কর্মজীবনে বৃহত্তর সিলেটের নানান জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তাঁর। সেই সময় এবং ৭৫ পরবর্তীতে আত্মগোপনে থাকার সময় তিনি প্রত্যক্ষভাবে জানতে পারেন মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও স্থানীয় দোসরদের বর্বর সব কাহিনি. দেখতে পান সিলেট জুড়ে অসংখ্য বধ্যভূমি। তাঁর মনে হয়. এ তো একটি কুঁড়ি. দুটি পাতার নয় বরং অগুনতি বধ্যভূমির সমাহার এই সিলেট। তখন থেকে তিনি গণহত্যার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সংগ্রহ করতে শুরু করেন নানা তথ্য-উপাত্ত। ৭ বছরের সংগৃহীত তথ্যের আলোকে রচিত হয় “সিলেটে গণহত্যা” (১৯৮৯. ২০০৫)। আবার ৮৬ থেকে ৯২—এই ৬ বছরের গবেষণা অর্থাৎ মোট ১১ বছরের পরিশ্রমের ফসল আরও দুটি বই: ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মারক’ (১৯৯৭) ও ‘সিলেটের যুদ্ধকথা’ (১৯৯৯)। ওয়ার ক্রাইমস ফাইল টিমের জন্য তাঁর এক বছরের মাঠ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় দুটি গ্রন্থ: ‘যুদ্ধাপরাধীর খোঁজে নয় মাস’ (২০১২) ও ‘আলবদরের ডায়েরি’ (২০১১)।তাজুল মোহাম্মদের আলাপচারিতায় জানা যায়. এক সময় সিলেট ছাড়িয়ে প্রায় পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর পদচারণা। উত্তরবঙ্গের মাঠ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে - কুড়িগ্রাম’ (২০০৮). ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি বীর প্রতীক’ (২০১৮). মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত আলী ও তাঁর যুদ্ধ (২০১৬)। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল ওয়ার মিউজিয়ামের ওর্যাল হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের এক এসাইনমেন্টে তাজুল ইংল্যান্ডের লন্ডন. বার্মিংহাম. ম্যানচেস্টার. স্কটল্যান্ডের এডিনবরা. স্পেনের মাদ্রিদ ইত্যাদি এলাকায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নেন। সেগুলো সংরক্ষিত আছে সে মিউজিয়ামে। আর সেই তথ্যগুলো সংযোজিত হয় তার ‘আমাদের একাত্তর’ বইয়ে।তাজুল নিজের তথ্য সংগ্রহের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন দুটি বই। এগুলো হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে’ (২০০১) ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্ধানে’ (২০১৪)। ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্ধানে’র অধিকাংশ লেখাই ‘সিলেট কণ্ঠে’ ‘মুক্তিযুদ্ধের উপাত্ত সংগ্রহ’ কলামে ছাপা হয়। সেকেন্ডারি রিসোর্সেসের ওপর ভিত্তি করে লিখেছেন দুটো বই। শিমুল ফোটার ১৬ দিন (২০০৮). মার্চ ১৯৭১ (২০০৭)। এ ছাড়া লিখেছেন. মেজর আবদুস সালেক চৌধুরী বীরউত্তম ও সালদা যুদ্ধ (২০১৮). বিভীষিকাময় একাত্তর (২০১৫). এমন বর্বরতা কখনো দেখেনি কেউ (২০১৮)।স্বদেশি আন্দোলন. মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলার সব আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রাখা বৃহত্তর সিলেটের আলোকিত মানুষদের ওপর তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘সোনার মলাট’ (১৯৯০). ‘বারীণ দত্ত ও সংগ্রামমুখর দিনগুলি’ (২০০৯). ‘গোপেশ মালাকার তাঁর জীবন ও সময়’ (২০১৩). ‘সূর্যমণি দেব জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ (২০১১. সম্পাদিত). ‘সংগ্রামী সাত নারী’ (২০০৯). ‘হেনা দাস জীবন নিবেদিত মুক্তির প্রয়াসে’ (২০০৯). ‘মৃত্যুঞ্জয়ী হিমাংশু শেখর ধর’ (সম্পাদিত. ২০০৬). ‘ড. মীজান রহমান ধ্রুব জ্যোতি তুমি অন্ধকারে’ (২০১৭). ‘প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল আজিজ সম্মাননা গ্রন্থ’ (সম্পাদিত. ২০১৩). ‘মৃত্যুহীন প্রাণ আজির উদ্দিন খান’ (২০০৮) ইত্যাদি। বৃহত্তর সিলেটের সামগ্রিক আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে রচনা করেছেন ‘সিলেটের দুই শত বছরের আন্দোলন’ (১৯৯৫)। এই বইয়ের বেশ কিছুটা অংশ ‘প্রথম চা শ্রমিক আন্দোলন’ শিরোনামে ইংল্যান্ডের জেসিএসসি এবং ও লেভেলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত। ভাষা আন্দোলনে সিলেটের সম্পৃক্ততা নিয়ে রচনা করেছেন ‘ভাষা আন্দোলনে সিলেট’’ (১৯৯৪) ও ‘ভাষা সংগ্রামীদের কথা. বৃহত্তর সিলেট’ (২০১৭)। পাঠশালার পক্ষ থেকে বলা হয়. তাজুল মোহাম্মদ. মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক প্রথম জেনারেশনের গবেষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন। বাঙালির মুক্তিযুদ্ধকে বুঝতে গেলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে তাজুল মোহাম্মদদের গবেষণাকর্মের কাছে বারবার যেতে হবে। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ডের প্রতি ইঞ্চি ভূমিতে একাত্তরের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি চিত্রিত করেছেন তাজুল মোহাম্মদরা. তাঁদের অক্লান্ত শ্রমের মাধ্যমে। ঐতিহাসিক ভূমিকার পাশাপাশি তাঁদের সেই সাহসী কাজের অনেকগুলোই এখন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে. করছে। তাঁদের মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গ্রন্থগুলো সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থাগার। তাজুল রচিত বিভিন্ন জেলার মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাধারার অনুপুঙখ ভাষ্য আঞ্চলিক হয়েও বহন করছে জাতীয় তাৎপর্য. হয়ে উঠেছে ঐতিহাসিক দলিল. যেমন অঞ্চলের তেমনিভাবে জাতিরও বটে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিক ইতিহাসের তাৎপর্য অনুধাবনে এবং মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপ্তি. বৈশিষ্ট্য ও পরিসর বুঝতে আগ্রহী পাঠকদের কাছে অপরিহার্য বলেই গণ্য হবে তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রতিটি গ্রন্থ।তাজুল বলেন. মুক্তিযুদ্ধের পূত ইতিহাস মুছে ফেলার সব প্রক্রিয়া যখন সক্রিয়. তখন নতুন প্রজন্মের কাছে ন্যূনতম অভিঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই তার শ্রম সার্থক। ইতিহাসের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন. ‘ইতিহাসবিদদের যা করার কথা ছিল. তাজুল মোহাম্মদ সেটাই নিজ দায়িত্বে কাধে তুলে নিয়েছেন।’সাক্ষাৎকার ভিত্তিক আলাপচারিতার পর আগত সাহিত্যানুরাগীদের সঙ্গে এক আন্তরিক প্রশ্নোত্তর পর্বে মিলিত হন তাজুল মোহাম্মদ।পাঠশালার বিজয় দিবসের আসরটি শেষ হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। | 1,572,837 |
2019-01-01 | নতুন বছরে তারকাদের পরিকল্পনা কী? | null | হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক. ঢাকা | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572804/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%80 | entertainment | print | 1 | টেলিভিশন | শুরু হলো নতুন বছর। সবার মতো তারকাদেরও আছে বছরজুড়ে নানা পরিকল্পনা। কী সেটা? চলুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকজন তারকার ২০১৯ সালের পরিকল্পনা। এখনো ভাবছিশাকিব খান. চলচ্চিত্র অভিনেতানতুন বছর নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই। এখনো ভাবছি। দেশের চলচ্চিত্র নিয়ে. নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কী করা যায়—সবকিছু নিয়েই ভাবছি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চিন্তাভাবনা আছে। বছর তো এক মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে না। পুরো ১২ মাস রয়েছে। তাই ভাবনাগুলো নিশ্চয়ই কাজে লাগানো যাবে। সবকিছু সময়মতো ভক্তদের জানাব। আপনাদের জানাব। সিনেমাটা যেন ‘ক্লিক’ করেমাহিয়া মাহি. চলচ্চিত্র অভিনেত্রীআমি এর আগে যতবার পরিকল্পনা করে বছর শুরু করেছি. সবকিছু ভেস্তে গেছে। তাই নতুন করে কিছুই পরিকল্পনা করব না। যা জরুরি মনে হয়. তা–ই করব। তবে এ বছর আমি খুব ভেবেচিন্তে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হতে চাই। এতে যদি আমাকে বছরে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে হয়. তাহলে তা–ই করব। কিন্তু সেটা যেন সিনেমার মতো সিনেমা হয় এবং দর্শকনন্দিত হয়। মোটকথা. সিনেমাটা যেন ক্লিক করে। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব ভালো আছি। এ রকম ভালোই থাকতে চাই। অভিনয়ে আরও মনোযোগী হতে চাইআফরান নিশো. অভিনেতাআমার খুব বেশি পরিকল্পনা নেই। যা আছে খুব সাধারণ। আমার কাজের জায়গায় আরও বেশি পেশাদার হতে চাই। কারণ. দিন যত যাচ্ছে. দায়িত্ব তত বাড়ছে। অভিনয়টা আরও মনোযোগ দিয়ে করতে চাই। আর আমরা মূলত সমালোচক ও দর্শকদের কথা চিন্তা করে অভিনয় করি। এ ক্ষেত্রে সমালোচকদের বিষয়টি মাথায় রেখে যেটা করা হয়. ওই নাটকটি খুব যত্ন নিয়ে করা হয়। কিন্তু সেটা খুব বেশি মানুষ দেখে না। এবার মানুষ যাতে এই নাটকগুলোও দেখে. সেভাবে কাজ করব। আরও বেশি মানুষের মধ্যে সেরা কাজগুলো ছড়িয়ে দেব। পড়াশোনা ও অভিনয়ের সমন্বয় করবসাবিলা নূর. অভিনেত্রীবছরটাই শুরু হচ্ছে ভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে। অভিনয় করতে যাচ্ছি একটা ভৌতিক নাটকে। এ রকম আরও কয়েকটি ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। যে চরিত্রগুলোর মাধ্যমে অনেক দিন মানুষ সাবিলা নূরকে মনে রাখবে। এ ছাড়া এ বছর পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগী হব। আমার সেমিস্টারের ফলাফলে সিজিপিএ ভালো এসেছে। এটাকে ধরে রাখতে হবে। মোটকথা. পড়াশোনা ও অভিনয় সমন্বয় করে চলব। আর এ বছর ‘না’ বলাটা শিখতে চাই। কারণ. অনেক কারণেই ‘হ্যাঁ’ বলতে হয়। সেটা এ বছর হতে দিতে চাই না। আর বিয়ে নিয়ে বলব. এ বছর আমার বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবু জন্ম. মৃত্যু. বিয়ে তো আমার হাতে নেই। নিজের ইউটিউব চ্যানেলটা চাঙা করবইমরান. সংগীতশিল্পীআসছে রমজান অবধি আমার গানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত। ধীরে ধীরে সেগুলো প্রকাশ করব। এতে অর্ধেক বছর পার হয়ে যাবে। তাই নতুন করে কিছু বলার বা করার নেই। তবে এ বছর আমার নতুন যে পরিকল্পনাটি রয়েছে. সেটি হলো বাছাই করা কিছু শিল্পীর গান ফিচারিং করব। তারপর সেগুলো আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করব। আর ব্যক্তিগত কিছু নেই। ভক্তরাই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তাই তাঁদের জন্য গানটা ঠিকমতো করে যেতে চাই। দারুণ কিছু করার প্রস্তুতি নিয়েছিঐশী. সংগীতশিল্পীঅনেক গানের কাজ এগিয়ে রেখেছি। এ বছর একটা অ্যালবাম আসবে। ইচ্ছা আছে ঐশী এক্সপ্রেস ২ নামে আমার দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ পাবে। ২০১৮ সাল আমার দৌড়ের ওপর গেছে। এ বছরটা একটু গুছিয়ে নিয়ে কাজ করতে চাই। পড়াশোনার চাপও বাড়ছে। হুট করে গানের শোও বাড়ছে। দুটিই গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগোতে চাই। মোটকথা. তুমুল প্রস্তুতি নিচ্ছি নতুন বছরে দারুণ কিছু করার। | 1,572,804 |
2019-01-01 | আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? | ভূরাজনীতি | মাইকেল কুগেলম্যান | null | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572798/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%95%E0%A7%80 | opinion | print | 1 | আন্তর্জাতিক | এই মুহূর্তে জালমে খলিলজাদ সম্ভবত সুখী মানুষ নন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশেষ দূত এখন এক জরুরি মিশনে আছেন। আর সেটা হচ্ছে তালেবানের সঙ্গে শান্তি–প্রক্রিয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। কেননা. প্রায় ১৭ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের যুদ্ধ শেষ করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খলিলজাদ এ ব্যাপারে বেশ কিছুটা এগিয়েছিলেন। তিনি তালেবান প্রতিনিধি ও মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসের গোড়ার দিকে এ ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অনুষ্ঠিত বৈঠকে আলোচনায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়। ইউএইতে বৈঠকের পর আফগান টিভি স্টেশন টোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খলিলজাদ তালেবানের কথা উল্লেখ করে বলেন. ‘তারা আমাকে বলেছে. আমরা আপনাদের পরাজিত করতে পারব না।’ তারা বলেছে. তারা প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে. এরপর আফগানদের সঙ্গে বসবে এবং রাজনৈতিক উপায়ে এ সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু ট্রাম্পের হঠাৎ করে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা খলিলজাদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত খলিলজাদের কাজকে কঠিন করে তুলেছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে ওয়াশিংটনের কাছে বিকল্প আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তালেবানদের তা–ই দিয়েছেন. যা তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল—আর সেটা হচ্ছে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি—আর এর বিনিময়ে তাদের কিছুই দিতে হবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের এ ঘোষণা তালেবানদের জন্য বেহেশত থেকে পাওয়া মান্নার (সুখাদ্য) মতো। তবে মার্কিন আলোচকদের কাছে এটা তাদের পেটে মুষ্ট্যাঘাতের মতো। ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের আগে তালেবানদের আলোচনায় বসতে রাজি করানোটা ছিল কঠিন একটি ব্যাপার। ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তালেবান জঙ্গিরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে আসছে। গত তিন বছরে তালেবান বিদ্রোহীরা তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। দেশটির একটি বড় অংশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তাই তাদের পক্ষ থেকে লড়াই বন্ধ করার কোনো কারণই নেই। তবে তালেবানরা আগে বলেছিল যে তারা যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে আফগান সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসতে পারে. যদি ওয়াশিংটন সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এখন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা তো এল। কিন্তু তালেবানরা আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কি না. তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে যত সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছে. তাদের তালেবান অবৈধ ও ওয়াশিংটনের আজ্ঞাবহ বলে অভিহিত করেছে। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনিশ্চায়কভাবে শেষ হওয়ার পর তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে কাবুলে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন প্রার্থী আশরাফ ঘানি ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে একটি চুক্তি করেন। এই দুজন এখন বর্তমান আফগান সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কাজেই যখন তালেবানদের বিবৃতিতে বলা হয় যে আফগান সরকার আমেরিকানদের দ্বারা স্থাপিত. তখন আর সেটা তাদের অহেতুক প্রলাপ বলে মনে হয় না। মনে হচ্ছে. সেনা প্রত্যাহারের ট্রাম্পের একতরফা সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনকে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনা শুরুর তারিখ ঘোষণা করার সুযোগকে ভেস্তে দিল। তাহলে এখন ওয়াশিংটনের সামনে বিকল্প কী? আদর্শিকভাবে. ট্রাম্পের উচিত হবে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর জন্য খলিলজাদকে আরও সময় দেওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে. ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন না। কারণ. তিনি কখনোই আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতিতে স্বস্তি বোধ করেননি। ১৭ বছরের আফগান যুদ্ধে ২ হাজার ৪০০ মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। কূটনৈতিক শান্তি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ম্যাটিস আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার শক্ত উপস্থিতি চেয়েছিলেন। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের আরও বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার উপস্থিতির পক্ষে। তাঁরা চেষ্টা করছেন. এ ব্যাপারে ট্রাম্পের মত পরিবর্তন করতে অথবা সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া ধীরে করতে। ট্রাম্প হয়তো শিগগিরই আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন যেসব পদক্ষেপ নিতে পারে. সেগুলো হচ্ছে প্রথমেই ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া। শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের উচিত হবে কাবুলকে এই নিশ্চয়তা দেওয়া যে যদিও সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে. কিন্তু তারা আফগানিস্তানকে পরিত্যাগ করছেন না। ওয়াশিংটনকে এটা বলতে হবে যে তারা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে অর্থায়ন করা এবং আফগান বিশেষ বাহিনীকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে। এই পদক্ষেপ আফগানদের উদ্বেগকে প্রশমিত করবে এবং মার্কিন সেনাদের বিদায়ের পর তালেবান জঙ্গিদের সম্ভাব্য আগ্রাসনকে সীমিত করবে। দ্বিতীয়ত. ওয়াশিংটনকে তালেবানের ওপর নজর রাখতে হবে। তালেবান যাতে আল-কায়েদার সংস্রব ত্যাগ করে. তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা. মার্কিন সেনারা চলে গেলে আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। তৃতীয়ত. ওয়াশিংটনকে চলতি বছরে অনুষ্ঠেয় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন দিতে হবে। নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা দিতে হবে। আফগান নেতৃত্বের অধীনে যদি একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়. তাহলে হয়তো তালেবানরা তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসতে পারে। আল–জাজিরা থেকে নেওয়া. ইংরেজি থেকে অনূদিত মাইকেল কুগেলম্যান ওয়াশিংটনের উড্রো উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের উপপরিচালক | 1,572,798 |
2019-01-01 | সন্তানদের জন্য স্যান্ড্রার চিঠি | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572785/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BF | entertainment | print | 1 | হলিউড | নেটফ্লিক্স অরিজিনালসের ‘বার্ড বক্স’ ছবিটি নিয়ে এখন আলোচনার শেষ নেই। এরই মধ্যে ছবিটি রেকর্ড করে ফেলেছে। নেটফ্লিক্সে এক সপ্তাহে দেখার হিসাবে ছাড়িয়ে গেল অন্য সব ছবিকে। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্যান্ড্রা বুলক। তিনি এবার ছবিটিকে দিলেন ভালোবাসায় পূর্ণ চিঠির তকমা। ছবিটি নাকি তাঁর সন্তানদের জন্য দেওয়া ভালোবাসায় পূর্ণ একটি চিঠি। ছবিতে স্যান্ড্রাকে দেখা গেছে একজন সাহসী মা হিসেবে. যিনি তাঁর সন্তানদের জন্য যেকোনো কিছু করতে পারেন। ক্রিসমাসে ছবিটি ব্যাপক আলোচিত হয়। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেলেও এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ছবিটি। তাই এর গায়ে সফলতার তকমা লাগতে না–লাগতেই স্যান্ড্রা তাঁর সন্তানদের জন্য একে ভালোবাসার উপহার হিসেবেও ঘোষণা দিলেন। ছবির শুটিংয়ের সময় সেটে স্যান্ড্রার সন্তানেরা উপস্থিত ছিল। তাই তারাও অপেক্ষা করছিল ছবিটির জন্য। তবে ছবিটি নাকি তারা দেখতে পারবে না। কারণ এখনো ছবিটি দেখার মতো বয়স তাদের হয়নি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে স্যান্ড্রা বলেন. ‘একটি কারণে আমি বার্ড বক্স–এ অভিনয় করেছি। আমার ছেলে প্রায়ই বলে. ওদের জন্য একটি সিনেমা করি না কেন? এটা হলো ওদের জন্য একটি ভালোবাসায় ভরা চিঠি। কিন্তু ওরা এটা দেখতে পারবে না। কারণ ছবিটি দেখার জন্য ওদের আরও বড় হতে হবে।’ স্যান্ড্রা বুলক অভিনীত বার্ড বক্স প্রথম সাত দিনে দেখা হয়েছে চার কোটির বেশি নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। সিনেমা হলের বক্স অফিস হিসাব যেন অনলাইন স্ট্রিমিংয়েও শুরু হয়ে গেল। নেটফ্লিক্স টুইট করে জানিয়েছে. সিনেমাটি এক সপ্তাহে দেখা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৩৭ হাজার ১২৫টি অ্যাকাউন্ট থেকে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছে সুসানে বিয়া। স্যান্ড্রা বুলকের আট বছর বয়সী ছেলের নাম লুইজ ও সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী মেয়ের নাম লায়লা। এসশোবিজ। | 1,572,785 |
2019-01-01 | সুনামগঞ্জে ২২. হবিগঞ্জে ১৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ | ২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572778/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4 | bangladesh | print | 1 | সুনামগঞ্জ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|নির্বাচন কমিশন | নির্বাচনী আইন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ভোট না পাওয়ায় সুনামগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৩২ প্রার্থীর মধ্যে ২২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর হবিগঞ্জের চারটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ২৪ প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জনই তাঁদের জামানত হারিয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া ভোটের হিসাব থেকে এই তথ্য জানা গেছে। নিবার্চন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে. কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেলে ওই প্রার্থী জামানত ফেরত পাবেন। না পেলে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯০৮টি। নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজির হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৯১৫ ভোট। এখানে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিনজনের। তাঁরা হলেন জাকের পার্টির আমান উল্লাহ আমান (৪৪৩ ভোট). ইসলামী আন্দোলনের ফখর উদ্দিন (১ হাজার ৪৩০ ভোট) এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বদরুদ্দোজা সুজা (১৮৫ ভোট) সুনামগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ২১৫। এ আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের জয়া সেনগুপ্তা। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির নাছির উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৮৭ ভোট। এখানে জামানত হারিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন গণতন্ত্রী পার্টির গোলজার আহমদ (২০৮ ভোট). কমিউনিস্ট পার্টির নিরঞ্জন দাস (৩৩৩ ভোট). বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মাহমুদ হাসান চৌধুরী (৮৭ ভোট) এবং ইসলামী আন্দোলনের আবদুল হাই (৩৫৫ ভোট)। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৭টি। এই আসনে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শাহীনুর পাশা চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯২৫ ভোট। জামানত হারিয়েছেন এলডিপির মাহফুজুর রহমান খালেদ (৫১৩ ভোট). ইসলামী আন্দোলনের মহিবুল হক আজাদ (৩২৮ ভোট) জাকের পার্টির শাহজাহান চৌধুরী (১২৬ ভোট) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সৈয়দ মুবশ্বির আলী (৫১ ভোট)। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৯০৪। মহাজোটর প্রার্থী সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ লাঙ্গল প্রতীকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ ফজলুল হক আছপিয়া ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। জামানত হারিয়েছেন মুসলিম লীগের আল হেলাল (১১৫ ভোট). ইসলামী আন্দোলনের তানভীর আহমদ তাছলিম (১ হাজার ৫২৯ ভোট). খেলাফত মজলিসের মুফতি আজিজুল হক (১ হাজার ৪১৬). এনপিপির মোহাম্মদ দিলোয়ার (৪৫৬ ভোট) এবং স্বতন্ত্র কামরুজ্জামান (৩৬৫ ভোট)। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৮টি। জয়ী আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৩২৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪২ ভোট। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন গণফোরামের আইয়ুব করম আলী (৬৪৬ ভোট). খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ সফিক উদ্দিন (২০৬ ভোট). ন্যাপের আবদুল ওদুদ (৬৩৫ ভোট). বিএনএফের আশরাফ হোসেন (৮১ ভোট). জাতীয় পার্টির নাজমুল হুদা (৫৫১ ভোট). ইসলামী আন্দোলনের হুসাইন আল হারুন (৭৩৩ ভোট) হবিগঞ্জ-১ আসনে জামানত হারিয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (জাতীয় পার্টি). মই প্রতীকে চৌধুরী ফয়সল শোয়েব (বাসদ). গামছা প্রতীকে নুরুল হক (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ). মোমবাতি প্রতীকে জুবায়ের আহমেদ (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট) ও হাতপাখা প্রতীকে আবু হানিফা আহমদ হোসেন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ )। হবিগঞ্জ-২ আসনে জামানত হারান লাঙ্গল প্রতীকে শংকর পাল (জাতীয় পার্টি). হাতপাখা প্রতীকে আবুল জামাল মসউদ হাসান (ইসলামী আন্দোলন). গামছা প্রতীকে মনমোহন দেবনাথ (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ). আম প্রতীকে পরেশ চন্দ্র দাস (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) ও সিংহ প্রতীকে আফছার আহমদ (স্বতন্ত্র)। হবিগঞ্জ-৩ আসনে জামানত হারিয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (জাতীয় পার্টি). হাতপাখা প্রতীকে মুহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ও কাস্তে প্রতীকে পীযুষ চক্রবর্ত্তী (বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি) হবিগঞ্জ-৪ আসনে জামানত হারিয়েছেন মোমবাতি প্রতীকে মৌলানা মুহাম্মদ ছোলাইমান খান রাব্বানী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট). গোলাপফুল প্রতীকে আনছারুল হক (জাকের পার্টি) ও হাতপাখা প্রতীকে শেখ মো. সামছুল আলম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)। | 1,572,778 |
2019-01-01 | আওয়ামী লীগের দাপুটে জয় | null | নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি. সিলেট | ৭ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572777/%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F | bangladesh | print | 1 | নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি | নির্বাচনী প্রচারণায় ছিল আওয়ামী লীগের দাপট। মামলা. হামলা ও পুলিশের ধরপাকড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছিল কোণঠাসা। যার প্রভাব পড়ল নির্বাচনের ফলাফলেও। ভোটের হিসাবে সিলেট জেলার ছয়টি আসনে বড় জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা। পাঁচটি আসনে নৌকার প্রার্থীরা একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন। সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের কোনো প্রার্থী ছিল না। তুলনামূলক অন্য রকম এক পরিবেশে বিজয়ী হয়েছে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচন করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোকাব্বির খান। মহাজোটের মনোনয়নে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করা জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী চলে গেছেন চতুর্থ অবস্থানে। গত রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় প্রার্থীদের ভোটের পরিসংখ্যানও জানান এই কর্মকর্তা। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে. ছয়টি আসনের মধ্যে বিজয়ী ছয়জনের মধ্যে দুজন নতুন প্রার্থী। সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আবদুল মোমেন প্রথমবারই ভোটের মাঠে নেমে জয় পেয়েছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি মোমেন এই আসনের বর্তমান সাংসদ ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই। অন্যদিকে সিলেট-২ আসনে বিজয়ী গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খানও নতুন প্রার্থী। তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এ আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ায় মোকাব্বির মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে যুক্তরাজ্যে চলে গিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতে তাহসিনার মনোনয়ন বাতিল হলে ভোটের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে দেশে ফিরে ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন মোকাব্বির। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন. এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করেন। নৌকার কোনো প্রার্থী না থাকায় সিলেটের অন্যান্য আসনের তুলনায় এখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন নির্ভার। নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটের দিন তুলনামূলক ভিন্ন চিত্র ছিল। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন মোকাব্বির। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট–২ আসনে মোকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৪৯ ভোট। সিংহ প্রতীকে ২০ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক সরদার। সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী ১৮ হাজার ৩২ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমানকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ইয়াহইয়া চৌধুরী। এদিকে সিলেট-৫ আসনে গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সাংসদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম উদ্দিন এবার তৃতীয় হয়েছেন। জেলার দুটি আসনে জাতীয় পার্টির বর্তমান দুই সাংসদই পরাজিত হওয়ায় দলটির এবার সংসদে জেলার প্রতিনিধিত্বকারী কেউ থাকল না। ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। জেলার ছয়টি আসনেই এ দলটি প্রার্থী দিয়েছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী. সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের এ কে আবদুল মোমেন (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৫১ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা রেদওয়ানুল হক চৌধুরী (হাতপাখা)। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ২৪ ভোট। এ কে আবদুল মোমেন গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন. ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। তাঁদের এ মূল্যায়ন ও ভালোবাসার সম্মান আমি রাখতে চাই। আমার প্রতিটি কাজই হবে এই এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য। এমনকি যেকোনো পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ইতিবাচক পরামর্শও আমি গ্রহণ করব। দলমত–নির্বিশেষে সবার সঠিক পরামর্শে আলোকিত সিলেট গড়াই আমার মূল লক্ষ্য।’ সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা. ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে জয়ী আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফি আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৮৩ হাজার ২৮৮ ভোট। এই আসনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন খেলাফত মজলিসের মো. দিলওয়ার হোসাইন। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৯৮৬ ভোট। সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট. জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৭২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিম (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৪৪৮ ভোট। এখানে ২ হাজার ৩৭০ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জিল্লুর রহমান (হাতপাখা)। সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমদ মজুমদার। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উবায়দুল্লাহ ফারুক পেয়েছেন ৮৬ হাজার ১৫১ ভোট। সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফয়সল আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮৯ ভোট। ১০৪২ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আজমল হোসেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন. বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া সিলেটে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সব দলের প্রার্থীরাও এখানে সহ–অবস্থানে থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ভোটাররাও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কিংবা ভোটারদের কাছ থেকেও সেভাবে কোনো অভিযোগ ছিল না। | 1,572,777 |
2019-01-01 | গাইবান্ধায় ২৪ প্রার্থী জামানত হারালেন | null | প্রতিনিধি. গাইবান্ধা | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572776/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8 | bangladesh | print | 1 | গাইবান্ধা|একাদশ সংসদ নির্বাচন|নির্বাচন কমিশন|জাতীয় পার্টি|বিএনপি | গাইবান্ধার চারটি সংসদীয় আসনে মোট ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয় বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়. গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১১ জন। তাঁদের মধ্যে নয়জন জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ. ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মো. আশরাফুল ইসলাম খন্দকার. গণতন্ত্রী পার্টির কবুতর প্রতীকের আবুল বাসার মো. শরীতুল্লাহ. গণফ্রন্টের মাছ প্রতীকের শরিফুল ইসলাম. বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের হাফিজুর রহমান. বাসদের মই প্রতীকের মো. গোলাম রব্বানী শাহ. স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরগাড়ি (কার) প্রতীকের কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান. স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল প্রতীকের আফরুজা বারী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কুড়াল প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক। গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন সিপিবির কাস্তে প্রতীকের মিহির ঘোষ. ইসলামী আন্দোলনের মো. আল-আমিন. ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের মাওলানা যুবায়ের আহমদ. ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের জিয়া জামান খান এবং স্বতন্ত্র প্রাথী সিংহ প্রতীকের মকদুবর রহমান। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই জামানত হারান। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের কাজী মশিউর রহমান. জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের আবুল কালাম. ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম. বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির কোদাল প্রতীকের মো. ছামিউল আলম. ন্যাশনাল পিপলস পার্টির খন্দকার মো. রাশেদ এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের সানোয়ার হোসেন। গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির ফারুক আলম সরকার. জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু. ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল এবং সিপিবির কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী যজেস্বর বর্মন। | 1,572,776 |
2019-01-01 | দুটি আসন পেয়েও আনন্দ-নিরানন্দের দোলাচলে বিএনপি | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572775/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF | bangladesh | print | 1 | বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|চাঁপাইনবাবগঞ্জ|রাজনীতি | সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের চিত্রের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবস্থার কোনো মিল নেই। সারা দেশে যেখানে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের শোচনীয় ভরাডুবি হয়েছে. সেখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। অর্থাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে দুটি বিএনপি দখল করতে সক্ষম হয়েছে। এরপরও আনন্দ-নিরানন্দের দোলাচলে আছেন এখানকার বিএনপির নেতা–কর্মীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে বিএনপির বিজয়ী প্রার্থী. দলের যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন. ‘এখানে আমরা অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছি। ভোটের আগের দিনও বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানকার ভোটাররা জুলুম অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছে। এ জন্য আমি ও আমাদের নেতা–কর্মীরা আনন্দিত। কিন্তু সারা দেশের নির্বাচন নিয়ে আমরা চরমভাবে হতাশ।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন. নির্বাচনের নামে এটা একটা তামাশা হয়েছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদে যোগ দেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন. ‘দল যে সিদ্ধান্ত নেবে. সেটাই আমার সিদ্ধান্ত।’ | 1,572,775 |
2019-01-01 | গণতন্ত্রের বিজয় এখনো সম্ভব | বিশ্ব ২০১৮ | হাসান ফেরদৌস | ৬ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572763/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%AC | opinion | print | 1 | হাসান ফেরদৌস|আন্তর্জাতিক | রোম যখন পুড়ছিল. নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। এখন সময় বদলেছে. রাষ্ট্রপ্রধানেরা এখন আর বাঁশি বাজান না. তাঁরা টুইট করেন। যেমন মার্কিন প্রেসিডন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের চাকা বন্ধ. আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বসে একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন। ২০১৮ সালের জন্য এর চেয়ে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ সমাপ্তি ভাবা কঠিন। গত দুই বছরে ট্রাম্প আমেরিকার রাজনীতি যেভাবে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিয়েছেন. তাতে আমেরিকার তো বটেই. পৃথিবীর সুস্থাবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় নেই। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর গত ৭০ বছর যে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল. ট্রাম্প কার্যত একাই তা উল্টে দিতে চাইছেন। এই বিশ্বব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে সাধারণভাবে সম্মত আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ও নেতৃত্বেই এই ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এই বিশ্বব্যবস্থার শিরোমণি। ট্রাম্প এটা থেকে মুখ ফিরিয়ে ‘ঘরে ফেরা’র আওয়াজ তুলেছেন। তাঁর স্লোগান. আমেরিকা ফার্স্ট। ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে তিনি বিশ্বের অন্য নেতৃবৃন্দকেও পরামর্শ দিলেন. ‘আপনারাও নিজ নিজ দেশের কথা ভাবুন। আমার মতো আপনারাও “জাতীয়তাবাদী” হোন।’ জাতীয় স্বার্থের যুক্তি তুলেই আমেরিকা দেড় বছর আগে জাতিসংঘের ‘জলবায়ু চুক্তি’ থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমরা জানি. বিশ্বের দেশগুলো যদি সম্মিলিত চেষ্টায় ভূমণ্ডলের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা কমাতে ব্যর্থ হয়. তাহলে সবাই এক অনিবার্য বিপর্যয়ে নিক্ষিপ্ত হব। ছোট-বড় কোনো দেশ রেহাই পাবে না। বছর শেষে এক প্রতিবেদনে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন. এই বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের হাতে আছে মোটে ১৫ বছর। যে জাতীয় স্বার্থের ধুয়া তুলে ট্রাম্প পৃথিবীকে এমন বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে প্রস্তুত. তার রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতটি মাথায় রাখা প্রয়োজন। গত এক দশকে ইউরোপে—এবং পরবর্তী সময়ে উত্তর আমেরিকায়—যে জাতীয়তাবাদী হাওয়া বইছে. তার কেন্দ্রে রয়েছে অভিবাসনবিরোধী প্রবণতা। এসব দেশের সাদা মানুষেরা বলছে. কালো ও বাদামি মানুষের আগমনে তাদের শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টীয় সভ্যতা আক্রান্ত। একে রক্ষা করতে হলে দরজায় খিল দিতে হবে. কালো ও বাদামি মানুষদের আগমন ঠেকাতে হবে। এই জাতীয়তাবাদী প্রবণতার মূল সুরটি একান্তই বর্ণবাদী। ট্রাম্প তো স্পষ্টই বলেছেন. অভিবাসনে তাঁর আপত্তি নেই. কিন্তু তিনি আফ্রিকা বা ক্যারিবীয় দেশগুলো থেকে কাউকে চান না। তাঁর পছন্দ নরওয়ের মতো দেশ. যে দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ শ্বেতাঙ্গ। ইউরোপেও বর্ণবাদী জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্য অভিবাসীদের ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছে। অস্ট্রিয়া. ফ্রান্স. হাঙ্গেরি. এমনকি উদারনৈতিক সুইডেনেও বর্ণবাদী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বর্ণবাদী জাতীয়তাবাদের সমান্তরালভাবেই উত্থান ঘটেছে কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক নেতৃত্বের। একদিকে ভীতি. অন্যদিকে নির্জলা মিথ্যাকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে বসেছেন এমন একদল নেতা. যাঁদের বিগত শতকে নির্দ্বিধায় ‘একনায়ক’ বলতাম। শুধু ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকা নয়. কর্তৃত্ববাদী শাসকদের খপ্পরে এখন এশিয়া. আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোও। যেমন ভারতে মোদি. তুরস্কে এরদোয়ান। ইউরোপে বর্ণবাদ হচ্ছে রাজনীতির ট্রাম্পকার্ড. আর এসব দেশে ব্যবহার হচ্ছে ধর্মের নামে বিভক্তি। আরেক দল কর্তৃত্ববাদী নেতা ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন সব প্রতিপক্ষকে ‘শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করে। যেমন রাশিয়ার পুতিন. নিকারাগুয়ার ওর্তেগা। প্রতিবেশী মিয়ানমারেও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভক্তি। কর্তৃত্ববাদ জিতছে. পিছু হটছে গণতন্ত্র। ২০১৮ সালের এটাই ছিল প্রধান বৈশিষ্ট্য। অবিশ্বাস্য মনে হবে. কিন্তু এই প্রবণতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এসেছে তৃতীয় বিশ্বের কিছু দেশ থেকে। মালয়েশিয়া বা ক্ষুদ্র মালদ্বীপের কথা ভাবুন। যখন কর্তৃত্ববাদ ও দুর্নীতিতন্ত্র মালয়েশিয়ায় জেঁকে বসেছে. ঠিক তখনই সে দেশের মানুষ ক্ষমতা থেকে টেনে নামাল প্রধানমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাককে. পতন হলো ৬১ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা রাজনৈতিক দলটির। মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে হটানো সম্ভব. আমরা বাইরের কেউই ভাবিনি। সে দেশের মানুষ সেই কথা মিথ্যা প্রমাণ করে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির ইব্রাহিম সালিহকে বিজয়ী করে এনেছে। গণতন্ত্রের পক্ষে বিজয় এখনো সম্ভব. যদি জনগণ এককাট্টা হয়। ২০১৮ সালের এটিও একটি শিক্ষা। ২০১৮ সালের অন্য আরেক বৈশিষ্ট্য চীনের উত্থান। একুশ শতকের শুরু থেকেই বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনীতি হিসেবে চীনের উত্থান। কিন্তু সদ্য বিগত বছরেই চীন আমেরিকার এক নম্বর প্রতিপক্ষ হয়ে উঠল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষায়. আমেরিকার জন্য রাশিয়ার চেয়েও বড় শত্রু চীন। আমেরিকার প্রতি চীনের মূল চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক। আমেরিকা আর আগের মতো সামরিক বা অর্থনৈতিক. কোনো দিকেই সর্বক্ষমতাধর নয়। আমেরিকা বহু বছর বিশ্বজুড়ে সামরিক আখড়া ও একই সঙ্গে তিন ফ্রন্টে যুদ্ধ জিইয়ে রেখে তার নিজের শক্তি খুইয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে. চীন হয়ে উঠেছে নিঃশব্দে উঠে আসা এক পরাশক্তি। নিউইয়র্ক টাইমস বছর শেষে চীন বিষয়ে এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে লিখেছে. এক নম্বর দেশকে টেক্কা দিয়েই দুই নম্বরের জায়গাটা দখল করেছে চীন। চীনের এই সাফল্য এসেছে তার নিজস্ব নিয়মে. কমিউনিস্ট পার্টির কর্তৃত্ববাদী চরিত্র টিকিয়ে রেখে। একুশ শতকের গোড়া থেকে শুরু হয় চীনের সমুদ্রভিত্তিক সামরিক সম্প্রসারণ। তার লক্ষ্য অবশ্য সারা বিশ্ব নয়. শুধু এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। আমেরিকার চোখে চীনের এই অবস্থান সরাসরি হুমকি। চীনকে ঠেকাতে ট্রাম্পের আমেরিকা প্রকাশ্য বাণিজ্যযুদ্ধে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এই চীন–মার্কিন প্রতিযোগিতা বিশ্বরাজনীতিকে সংজ্ঞায়িত করবে। ২০১৮ সালের আরেক বৈশিষ্ট্য সাইবার প্রযুক্তির অভাবিত সম্প্রসারণ। কয়েক বছর আগেও ভাবা হচ্ছিল তথ্যপ্রযুক্তি পৃথিবীকে বদলে দেবে. ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমাতে হবে এক ম্যাজিক হাতিয়ার। কিন্তু গত এক বছরে উপলব্ধি করা গেছে এই হাতিয়ার কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। ‘ফেক নিউজ’ কথাটা ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো জনপ্রিয় করেছেন. কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক বিজয়ের পেছনে যে সাইবারভিত্তিক ফেক নিউজ বড় সহায়ক ছিল. এখন সে কথা আমরা জানি। শুধু মিথ্যা প্রচারই নয়; পৃথিবীর ছোট-বড় সব দেশই এখন সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে নিজের নাগরিকদের ওপর নজরদারি করতে। জর্জ অরওয়েল একসময় যে ‘বিগ ব্রাদার’-এর কথা বলেছিলেন. সেই ব্রিগ ব্রাদার এখন এই সাইবার ক্যামেরা। ভবিষ্যতে এর ব্যবহার বাড়বে. কমবে না। সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে সাইবার প্রযুক্তির ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ। | 1,572,763 |
2019-01-01 | আট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত | null | প্রতিনিধি. মতলব দক্ষিণ. চাঁদপুর ও মির্জাপুর. টাঙ্গাইল | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572761/%E0%A6%86%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4 | bangladesh | print | 1 | একাদশ সংসদ নির্বাচন|টাঙ্গাইল|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|নির্বাচন কমিশন | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা) আসনে বিএনপিসহ চার প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে চার প্রার্থীর। আইন অনুযায়ী. নির্বাচনে পড়া মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়া প্রার্থীদের জামানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়. চাঁদপুর-২ আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৪টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের জয়ী প্রার্থী নুরুল আমিন পেয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ৫০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ জালালউদ্দিন পান ১০ হাজার ২৭৭ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের মো. আফসার উদ্দিন পান ৩ হাজার ১১৭ ভোট। ইসলামী ঐক্যজোটের মনির হোসেন চৌধুরী ২৫৯ ও মুসলিম লীগের নুরুল আমিন পেয়েছেন ১ হাজার ৩১ ভোট পান। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল ইসলাম ও মতলব উত্তরের ইউএনও শারমিন আক্তার বলেন. মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগও না পাওয়ায় এ আসনে বিএনপি. ইসলামী ঐক্যজোট. ইসলামী আন্দোলন ও মুসলিম লীগের প্রার্থীরা জামানতের টাকা ফিরে পাবেন না। তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়. টাঙ্গাইল-৭ আসনে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৯ জন ভোট দেন। আইনানুযায়ী. ৩২ হাজার ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এখানে আওয়ামী লীগের জয়ী প্রার্থী মো. একাব্বর হোসেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৯৪৯ ভোট। জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। খেলাফত মজলিসের সৈয়দ মজিবর রহমান পেয়েছেন ১১৩ ভোট. ইসলামী আন্দোলনের শাহিনুর ইসলাম ১ হাজার ৯৭ ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) রুপা রায় চৌধুরী পেয়েছেন ১৫৮ ভোট। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এম শামছুজ্জামান বলেন. নির্বাচনে পড়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় চারজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। | 1,572,761 |
2019-01-01 | ‘হ্যাটট্রিক’ তিনজনের. নতুন সাংসদ দুজন | null | প্রতিনিধি. চাঁদপুর | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572760/%E2%80%98%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E2%80%99-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8 | bangladesh | print | 1 | নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|চাঁদপুর|একাদশ সংসদ নির্বাচন | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি আসনে দলটির প্রার্থীরা জয়ের ‘হ্যাটট্রিক’ করেছেন। অপর দুটি আসনে দুজন প্রার্থী প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। হ্যাটট্রিক করা তিনজন হলেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর. চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তাঁরা ২০০৮. ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। এবার চাঁদপুর-১ আসনে মহীউদ্দীন খান আলমগীর পান ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোশারফ হোসেন পান ৭ হাজার ৭৫৯ ভোট। চাঁদপুর-৩ আসনে দীপু মনি পান ৩ লাখ ৪ হাজার ৮১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শেখ ফরিদ আহমেদ পান ৩৫ হাজার ৫০১ ভোট। চাঁদপুর-৫ আসনে রফিকুল ইসলাম পান ৩ লাখ ১ হাজার ৬৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মমিনুল হক পান ৩৭ হাজার ১৯৫ ভোট। অপর দুই আসনের মধ্যে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে নূরুল আমিন ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন। এ দুজনের মধ্যে শফিকুর রহমান ২০০১ সালে ও ২০০৮ সালে নির্বাচন করেও জয়ী হতে পারেননি। নূরুল আমিন প্রথমবার নির্বাচন করেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেলেন। চাঁদপুর-৪ আসনে শফিকুর রহমান পান ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হারুনুর রশিদ পান ৩০ হাজার ৭৯৯ ভোট। চাঁদপুর-২ আসনে নূরুল আমিন পান ৩ লাখ ১ হাজার ৫০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জালাল উদ্দিন পান ১০ হাজার ২৭৭ ভোট। | 1,572,760 |
2019-01-01 | ভোটের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড আ.লীগের | null | প্রতিনিধি. ময়মনসিংহ | ৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572759/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | print | 1 | নির্বাচন|ময়মনসিংহ|আওয়ামী লীগ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ১১টি আসনের মধ্যে ৯টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে ভোটের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড করেছে আওয়ামী লীগ। গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে ২ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেং। জুয়েল আরেং পেয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৩ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী আফজাল এইচ খান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩৮ ভোট। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রমোদ মানকিন পান ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮১ ভোট। বিএনপির আফজাল এইচ খান পান ৯১ হাজার ৩৪৫ ভোট। ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে ২ লাখ ২৯হাজার ২৩৯ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ আহমেদ। শরীফ আহমেদ পেয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৭২ ভোট। বিএনপির প্রার্থী শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছেন ৬২ হাজার ২৩৩ ভোট। এই আসনে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হায়েতুর রহমান খান পান ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৩৩ ভোট। ওই নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী¦প্রার্থী হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছিলেন ৯৪ হাজার ৯০ ভোট। ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮১ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩০০ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এম ইকবাল হোসেইন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫১৯ ভোট। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত মজিবুর রহমান ফকির পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৮০ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এম ইকবাল হোসেইন পেয়েছিলেন ৭৬ হাজার ৫১৭ ভোট। ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে এম খালিদ পেয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৬ ভোট। বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসেন পেয়েছেন ২২ হাজার ২০৩ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মুখোমুখি নির্বাচন হয়েছিল ২০০৮ সালে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে এম খালিদ ১ লাখ ২১ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসনে পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ২০৫ ভোট। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনেও একাদশ নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। এ আসনে ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন পেয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৫ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী শামছ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩৩২ ভোট। এ আসনে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই প্রার্থী। সেবার মোসলেম উদ্দিন ১ লাখ ২৭ হাজার ৬২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী শামছ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ৮৫০ ভোট। ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৬ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী পেয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৭৩৪ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪০৮ ভোট। এ আসনে নবম নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেজা আলী ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পান ৫৮ হাজার ৪০ ভোট। ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসেন ২ লাখ ৬ হাজার ১৯০ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আবেদীন খান পেয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির খুররম খান চৌধুরী পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৫৮ ভোট। ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনেও একাদশ নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী। এ আসনে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪২২ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিদ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ২৪৮ ভোট। বিএনপির ফকরউদ্দিন আহমেদ পান ২৬ হাজার ৮২৬ ভোট। এ আসনে ২০০৮ সালে নবম নির্বাচনে দুই দল মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নবম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমান উল্লাহ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পান ৬৩ হাজার ৩৭৬ ভোট। এ ছাড়া ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আওয়ামী লীগের সাংসদ ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ২ লাখ ৮১ হাজার ২৩০ ভোট পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭৫ ভোট। | 1,572,759 |
2019-01-01 | এগিয়ে চলছে ‘সিম্বা’ | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572755/%E0%A6%8F%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E2%80%99 | entertainment | print | 1 | বলিউড | তিন খান গত বছর হতাশ করেছেন বলিউড ভক্তদের। তাই সবার ধারণা. বছরের শেষ ছবি সিম্বা দিয়ে সেই হতাশা কাটাবেন রণবীর সিং। সেটি পূরণ করতে চলেছে সিনেমাটি। এরই মধ্যে ভারত ও ভারতের বাইরের আয় দিয়ে ছবিটি তুলে ফেলেছে ১০০ কোটি রুপির ওপরে। যদিও রণবীরের অভিনয়কে অতিরঞ্জিত বলেছেন কেউ কেউ। এ বছর সালমান খান অভিনীত রেস থ্রি হতাশ করেছে ভক্তদের। প্রথমবারের মতো আমির খান ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ছবি থাগস অব হিন্দোস্থান। আশা ছিল. অন্তত এই সিনেমাটি বক্স অফিসে ঝড় তুলবে। কিন্তু দুই মহাতারকার ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল। বাকি থাকলেন শাহরুখ খান। কয়েক বছর থেকেই খুব একটা ছন্দে নেই কিং খান। এবার ব্যতিক্রমী বামন চরিত্র দিয়ে নিজেকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ছবিটির পরিচালক ছিলেন আনন্দ এল রাই। ‘তানু ওয়েডস মানু’র মতো জনপ্রিয় ছবি তিনি বানিয়েছেন। ছবিটিতে ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ ও আনুশকা শর্মার মতো অভিনেত্রীও। তবু ঘুরে দাঁড়াতে পারলেন না শাহরুখ। তাই বছরের শেষ দিকে বলিউড ভক্তদের নজর পড়ে ‘সিম্বা’র ওপর। সিনেমাতে বেশ কয়েকটি আকর্ষণ আছে। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে জুটি হলেন জনপ্রিয় নির্মাতা রোহিত শেঠি ও রণবীর সিং। রণবীর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা দীপিকা পাড়ুকোনকে বিয়ে করে এমনিতেই আলোচনার তুঙ্গে। তা ছাড়া বছরের প্রথম দিকে ‘পদ্মাবত’ সিনেমায় আলাউদ্দিন খিলজির ভূমিকায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ছবিটিতে আছে সাইফ আলী খানের মেয়ে সারা আলী খানও। সবকিছু মিলিয়ে ছবিটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ছিল আকাশচুম্বী। সেই আগ্রহ ধীরে ধীরে মেটাচ্ছে ছবিটি। শুধু ভারতেই ছবিটি আয় করেছে ৭৫ কোটি রুপি। গত শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পায়। রোববার পর্যন্ত এ হিসাব দিয়েছেন ভারতের বক্স অফিস বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র. কানাডাসহ অন্যান্য দেশ মিলিয়ে আয় হয়েছে ২৯ কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ছবিটি আয় করেছে ১০০ কোটি রুপির ওপরে। বক্স অফিস বিশ্লেষকদের ধারণা. অল্প কদিনের মধ্যেই ছবিটি শুধু ভারতের আয় দিয়েই ঢুকে যাবে ১০০ কোটি ক্লাবের মধ্যে। এ ছাড়া নতুন বছরে রণবীর কাজ করবেন বেশ কয়েকটি ছবিতে। এর মধ্যে জোয়া আখতারের গলি বয় ও কবির খানের ৮৩ অন্যতম। হিন্দুস্তান টাইমস | 1,572,755 |
2019-01-01 | অর্থনীতিতে আরও সুখের আশা | null | রাজীব আহমেদ. ঢাকা | ৬ | https://www.prothomalo.com/economy/article/1572754/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%BE | economy | print | 1 | বাণিজ্য সংবাদ | • নতুন বছরের শুরুতেই দায়িত্ব নিচ্ছে নতুন সরকার• ব্যবসায়ীরাও বাড়তি প্রত্যাশার কথা বলছেন• ইশতেহার অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান • সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা• ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ও এক দরজায় সেবা চালু• অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেওয়া • ব্যবসার খরচ কমানো ও জ্বালানির দাম সহনীয় রাখা • নতুন বছরের শুরুতেই দায়িত্ব নিচ্ছে নতুন সরকার• ব্যবসায়ীরাও বাড়তি প্রত্যাশার কথা বলছেন• ইশতেহার অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান • সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা• ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ও এক দরজায় সেবা চালু• অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেওয়া • ব্যবসার খরচ কমানো ও জ্বালানির দাম সহনীয় রাখা দেশের অর্থনীতির স্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে নতুন বছর শুরু হচ্ছে। রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে. মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে. প্রবাসী আয় বাড়ছে. বৈদেশিক মুদ্রার মজুত খুবই ভালো অবস্থায়। বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব আসছে। আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা স্বস্তি দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এমনই এক সুখকর অবস্থায় দেশে টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। ব্যবসায়ীরা বলছেন. নতুন বছর ও নতুন সরকার মিলিয়ে তাঁদের প্রত্যাশা বেশি। প্রত্যাশাগুলো অবশ্য বেশির ভাগই পুরোনো—ব্যবসা সহজ করা. ব্যবসার খরচ কমানো. করব্যবস্থা সহজ করা. অবকাঠামো উন্নতি. জ্বালানির ব্যবস্থা করা. সুদের হার সহনীয় রাখা। এর সঙ্গে নতুন একটি প্রত্যাশা যোগ হয়েছে আওয়ামী লীগের ইশতেহার থেকে। ব্যবসায়ীরা চান. নতুন বছরে নতুন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরু করুক। জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন. ‘আমরা চাই নতুন বছরে সরকার তার ইশতেহারে করা অঙ্গীকার অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরু করুক।’ তিনি ব্যবসা সহজ করা. সময়ের কাজ সময় অনুযায়ী শেষ না করলে জবাবদিহি নিশ্চিত করা. হয়রানিমুক্ত করব্যবস্থা নিশ্চিত করা. বিনিয়োগে উৎসাহ. বেসরকারি ব্যাংকেও ঋণের সুদের ৯ শতাংশ নামিয়ে আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। শফিউল ইসলাম বলেন. নতুন সরকার অনেক উন্নয়নকাজ হাতে নেবে। এ জন্য প্রচুর পয়সার প্রয়োজন হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে কর দিতে পারেন. সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকারের চলতি মেয়াদে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছিতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে। এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করেন. কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। গ্যাস-বিদ্যুতের দামের ক্ষেত্রেও মধ্যমেয়াদি একটি প্রক্ষেপণ থাকা দরকার। তিনি বলেন. যদি জ্বালানির দামের একটি প্রক্ষেপণ থাকে. তাহলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা সহজ হয়। সরকার গত কয়েক বছরে বেশ কিছু কাজ গুছিয়ে এনেছে. যার সুফল পাওয়া যেতে পারে চলতি বছর। এর মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ীদের জন্য এক দরজায় সেবা বা ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) চালু করা। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ওএসএস চালুর ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে গেছে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সদ্য বিদায়ী সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন. ‘আমরা চাই ওএসএস দ্রুত চালু হোক। পাশাপাশি সেটার সুফল নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা সূচকে আমরা উন্নতি চাই।’ তিনি আরও বলেন. অর্থনৈতিক উন্নতি এই সরকারের একটি বড় শক্তি। সেটা এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আবুল কাসেম খান মনে করেন. বড় ব্যবসায়ীরা নানাভাবে অর্থের জোগান নিশ্চিত করলেও বিপাকে থাকেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে. যাতে তাঁরা সহজে ঋণ পান। ব্যাংক খাতের অনিয়ম ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবিটি আবারও তুলে ধরেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে যে রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছিল. তার বড় ভুক্তভোগী ছিল পোশাক খাত। এবার সেটা হয়নি। নির্বাচনের দিন বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও সার্বিকভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে নির্বাচন ঘিরে প্রতিবার যে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়. তা থেকে মুক্ত ছিলেন ব্যবসায়ীরা। জানতে চাইলে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন. ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করব নতুন বছরে এবং পরবর্তীতে এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’ টানা তিনবার নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন. ‘সরকারের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। আশা করব. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশা পূরণ করবেন।’ তিনি অবকাঠামোর উন্নতি. সুশাসন নিশ্চিত করাসহ বেশ কয়েকটি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। বন্দর নিয়ে তিনি বলেন. চট্টগ্রাম বন্দরের পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে দেশের রপ্তানি বাড়ছে। তাতে যেন চাপ তৈরি না হয়. সে জন্য বে টার্মিনাল নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে হবে। | 1,572,754 |
2019-01-01 | রাজনৈতিক সংকট ও মণি সিংহের শিক্ষা | মৃত্যুবার্ষিকী | এম এম আকাশ | null | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572753/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE | opinion | print | 1 | রাজনীতি | বাংলাদেশের সমাজজীবন এখনো নানা অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব. সহিংসতা. সন্ত্রাস ও সংঘাতে ভরা। একদিকে রয়েছে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ. অন্যদিকে রয়েছে আদর্শবিচ্যুত দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনীতিতে প্রধান যে সংকটটি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে. তা হচ্ছে গণতন্ত্রের সংকট। এই রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে. এমন একটি উত্তরণকালীন সমাধান খুঁজে বের করা. যাতে একই সঙ্গে গণতন্ত্র ও সুশাসন ফিরিয়ে আনা যায় এবং রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জঙ্গি-সন্ত্রাসী. মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর সাময়িক নেতিবাচক উত্থান রহিত ও পরাজিত হয়। সেটা সম্ভব হলে আমরা মহাবিপদের হাত থেকে মুক্ত হতে পারব। এই বিশেষ সন্ধিক্ষণে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে কমরেড মণি সিংহের কাছ থেকে সাধারণভাবে জাতি এবং বিশেষভাবে তাঁর অনুসারী বামপন্থীরা কী শিক্ষা পেতে পারে—তা নিয়েই আলোচনা করব।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কমরেড মণি সিংহ জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন সম্পর্কে কী বলেছিলেন. তার বিবরণ পাওয়া যায় স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্রে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছিলেন ‘নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন করে আমরা (কেন্দ্রীয় কমিটি) আরও দেখেছিলাম যে. আওয়ামী লীগ কেবল “পূর্ব-পাকিস্তানের” জনগণেরই সর্বাত্মক সমর্থন পায়নি. তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার গঠনের অধিকার লাভ করেছে।...পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলো এবং এই শাসকদের মদদদাতা সাম্রাজ্যবাদ কিছুতেই নির্বাচনের এই ফলাফল মেনে নেবে না এবং তা বানচাল করার ষড়যন্ত্র করবে।...এমতাবস্থায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকেই অগ্রসর হবে এবং সে সংগ্রামের জন্য জনগণকে প্রস্তুত করা দরকার।’ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সেদিকে এগিয়ে গেলে. পাকিস্তানের দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মভিত্তিক দল ও শক্তিগুলো পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে। এই মুষ্টিমেয় অংশকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার প্রশ্নে ব্যাপক জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার প্রশ্ন ১৯৭১ সালে সামনে চলে আসে। তখন বামপন্থীদের মধ্যে দুটি মত বিরাজ করছিল। একটি মত ছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করা। অপর মতটি মুক্তিযুদ্ধকে দেখছিল ‘দুই কুকুরের লড়াই’ হিসেবে। এই দ্বিতীয় মতটি ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী’ এবং ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বাহিনী’ উভয়কেই সমশত্রু জ্ঞান করে সমদূরত্বের নীতির পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। বিভ্রান্ত চীনাপন্থীদের বৃহৎ একটি অংশ তখন এই অবস্থান গ্রহণ করে। এই উদ্ধৃতি থেকে বোঝা যায়. ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ‘জাতীয় ইস্যুতে’ জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে এগোনোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন কমরেড মণি সিংহ। ‘জাতীয় ইস্যু’র বিপরীতে সংকীর্ণ বামপন্থী অবস্থানকে তিনি ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ এবং ‘ভ্রান্ত’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন এবার ‘গণতন্ত্র ও সুশাসনের’ সংকটকে কেন্দ্র করে সে রকম কোনো জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব ছিল কি? আমরা জানি সাধারণত ‘জাতীয় ঐক্যের’ মধ্যে বাম ও ডানপন্থী উভয় প্রকার শক্তি বিদ্যমান থাকে। সেই জাতীয় ঐক্য জনগণের স্থায়ী কল্যাণে কতটুকু কাজে আসবে. তা নির্ভর করে ঐক্যের ভেতরে শক্তির ভারসাম্য ও নেতৃত্বের শ্রেণিচরিত্রের ওপর। এ বিষয়টি সম্পর্কে কমরেড মণি সিংহ কি সজাগ ছিলেন? তিনি কি ‘জাতীয় ঐক্যের’ অবস্থান নিতে গিয়ে জাতীয় ঐক্যের অভ্যন্তরে ‘বিভিন্ন শ্রেণিগুলোর অভ্যন্তরীণ সংগ্রামের’ দিকটিকে ভুলে গিয়েছিলেন বা তার ওপর জোর কম দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নটিও বিচার করা প্রয়োজন। মণি সিংহের সাক্ষাৎকারের আরেক অংশে আছে— ‘আমরা আওয়ামী লীগসহ স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির বৃহত্তম জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সচেষ্ট ছিলাম। এই প্রচেষ্টা তেমন সফল হয়নি। শেষের দিকে বাংলাদেশ সরকারের “পরামর্শদাতা কমিটি” গঠিত হয় এবং তাতে আমাদের পার্টির প্রতিনিধিরূপে আমি ছিলাম। সশস্ত্র সংগ্রামের অগ্রগতির পর্যায়ে আমাদের উভয় দলের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য ছিল। আমরা মুক্ত এলাকা গড়ে তুলে সেখানে প্রগতিশীল অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক নীতি গ্রহণ ও কার্যকর করার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের মডেল জনগণের কাছে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতাম এবং ওই রকম রণকৌশল গ্রহণের কথা বলতাম। আমরা স্বাধীনতাসংগ্রামকে কেবল সাধারণ জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতাম না।’ এই উদ্ধৃতি থেকে এটা স্পষ্ট যে কমিউনিস্টদের জাতীয় ঐক্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থ নিছক জাতীয়তাবাদী বা নিছক বুর্জোয়া গণতন্ত্রী হয়ে যাওয়া নয় বা আত্মসত্তা বিসর্জন দেওয়া নয়। নিজস্ব পৃথক বৈশিষ্ট্য ও পৃথক রণকৌশল বজায় রাখার শর্ত মেনে নিয়েই জাতীয় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। উপরিউক্ত আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হচ্ছে. জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের নানা পর্বে ন্যূনতম সুনির্দিষ্ট জাতীয় ইস্যুতে বামপন্থীদের সঙ্গে অন্যান্য অ-বাম শক্তির ব্যাপক ঐক্য গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে. কিন্তু সেই প্রয়োজনীয় ঐক্যের সুনির্দিষ্ট রূপ এমন হতে হবে. যাতে জাতীয় ন্যূনতম ইস্যুর সমর্থক বামপন্থীদের অন্যান্য উচ্চতর সংগ্রামগুলো চালানোর স্বাধীন সুযোগ ও অধিকার বজায় থাকে এবং ক্রমান্বয়ে তাদের শক্তির ভারসাম্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। চূড়ান্ত লক্ষ্য ও আশু লক্ষ্যের মধ্যে যাতে সংযোগ বজায় থাকে। তবে উপরিউক্ত রাজনৈতিক দিকটি ছাড়াও অন্য আরও অনেক প্রসঙ্গে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় মণি সিংহের পুরো জীবনের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে। তাঁর সততা. নিষ্ঠা. আত্মত্যাগ. সময়ানুবর্তিতা. শৃঙ্খলা. বিপ্লবী মানবতাবাদ. শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা. অঙ্গীকার ও অকৃত্রিম ভালোবাসা; সংগঠনে অধস্তনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও দরদ ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ই আমাদের নানা জনের নানা স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে। গতকাল ৩১ ডিসেম্বর ছিল এই মহান নেতার ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা। এম এম আকাশ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপকakash92@hotmail.com | 1,572,753 |
2019-01-01 | কী ঘটতে চলেছে নতুন বছরে | null | রোকেয়া রহমান. ঢাকা | null | https://www.prothomalo.com/international/article/1572751/%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87 | international | print | 1 | ইউরোপ|এশিয়া | • যুগের কলকাঠি নাড়ছেন ট্রাম্প. পুতিন. কিম ও যুবরাজ সালমানের মতো ব্যক্তিরা• কিছু ঘটনা নিশ্চিত ঘটবে ২০১৯ সালে• কিছু ঘটনা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা • যুগের কলকাঠি নাড়ছেন ট্রাম্প. পুতিন. কিম ও যুবরাজ সালমানের মতো ব্যক্তিরা• কিছু ঘটনা নিশ্চিত ঘটবে ২০১৯ সালে• কিছু ঘটনা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা বিশ্ব এখন লোকরঞ্জনবাদ ও সংরক্ষণবাদের। যুগের কলকাঠি নাড়ছেন ট্রাম্প. পুতিন. কিম ও যুবরাজ সালমানের মতো ব্যক্তিরা। কিছু ঘটনা নিশ্চিত ঘটবে ২০১৯ সালে। আর কিছু ঘটনা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবু ভবিষ্যদ্বাণী। নতুন কংগ্রেস পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ২০১৮ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ডেমোক্র্যাটরা। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর দেশের ১১৬তম কংগ্রেসের সদস্যরা প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবেন ৩ জানুয়ারি। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন মাত্রার বিরোধিতার মুখোমুখি হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। মোদিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন? সম্প্রতি ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে দিল্লিতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। ধারণা করা হচ্ছে. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভোটারদের কাছে যে প্রত্যাশার বাণী শুনিয়েছিলেন. তা তিনি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই এই ভরাডুবি। কিন্তু ক্যারিশম্যাটিক মোদির ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও বেশ। ফলে জয় নিশ্চিত করতে মোদি যেকোনো পদক্ষেপ নেবেন. তা ভাবাই শ্রেয়। ব্রেক্সিট হবে কি?যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ সৌহার্দ্যপূর্ণ হবে বলে উভয় পক্ষ আশা ব্যক্ত করেছিল; কিন্তু তার উল্টোটা হচ্ছে। ২০১৮ সালজুড়ে উভয় পক্ষ দেনা-পাওনা নিয়ে বারবার আলোচনায় বসেছে। এমনকি শেষ মুহূর্তে চাইলেও যুক্তরাজ্য নিজের ‘ক্ষতি’ করা থামাতে ইইউ থেকে প্রস্থান না-ও করতে পারে. এমন ধারণাও রয়েছে। কারণ. ইইউর আদালত সম্প্রতি রায় দিয়েছেন. ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবে যুক্তরাজ্য। তারপরও যদি সবকিছু সময়মতো হয়. তাহলে আগামী ২৯ মার্চ স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে যুক্তরাজ্য। ক্ষমতায় থাকবেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসৌদি আরবের কলাম লেখক জামাল খাসোগি হত্যার দায় এসে পড়েছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর। তা সত্ত্বেও নিশ্চিত বলা যায়. তিনিই ক্ষমতায় থাকতে চলেছেন। বিগত তিন বছরে বিরোধীদের দমনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন তিনি। পাশে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খাসোগি হত্যার ঘটনার চেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশটির যুবরাজকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তাঁর কাছে যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইতিমধ্যে তা খোলাসা করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পকে অভিশংসনযুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য আঁতাতের বিষয়ের তদন্ত এখন তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। ট্রাম্প ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা দিয়েছিলেন. বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট ম্যুলারের তদন্তের মাধ্যমে হয়তো সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে এ বছরের শুরুতেই। এ অবস্থায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় অভিশংসিত হতে পারেন ট্রাম্প। তবে তাঁকে ক্ষমতা থেকে হটাতে উচ্চকক্ষ সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনও লাগবে। সেখানে ক্ষমতাসীনদের অবস্থান পাকাপোক্ত হওয়ায় ট্রাম্প অভিশংসনের চেষ্টা থেকে যে উতরে যাবেন. তা বলাই যায়। সম্রাটের পদত্যাগজাপনের সম্রাট আকিহিতো পদত্যাগ করবেন আগামী ৩০ এপ্রিল। জাপান সাম্রাজ্যের প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসে আকিহিতোই প্রথম সম্রাট. যিনি সিংহাসন ছাড়ছেন। ৮৩ বছর বয়সী আকিহিতো গত বছর বলেছিলেন. বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর জন্য রাজকীয় দায়িত্ব পালন কঠিন। বাড়বে না দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনাদক্ষিণ চীন সগরের বিরোধপূর্ণ জলসীমায় চীন অনেক দিন ধরেই কৃত্রিম দ্বীপ গড়ছে। কিন্তু নতুন বছরে বড় ধরনের এমন পদক্ষেপ বেইজিং নেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণটা সহজ. ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়েছে চীন। দেশটি আর ওয়াশিংটনের নতুন তোপে পড়তে চাইবে না। | 1,572,751 |
2019-01-01 | উনিশে পা | null | মারিয়া সুলতানা | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572750/%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE | life-style | print | 1 | নকশা|ফ্যাশন|স্টাইল | ২০১৯ যাত্রা শুরু করছে আজ। আর যে মেয়েটি আঠারো পেরিয়ে উনিশে রেখেছে পা. সেই মেয়েটির পোশাক কেমন হবে? দেখুন প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। ইশ্। ইনস্টাগ্রামে তুষারপাতের ছবি দেখে ইচ্ছে করছে এখনই চলে যেতে ওখানে। বরফ বল বানিয়ে খেলতে। কখনোবা মনে হয় একদল সঙ্গী–সাথি নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হিমছড়ির বনে-জঙ্গলে। পাহাড়. ঝরনা. নদী—সব দাপিয়ে বেড়াতে! মাঝেমধ্যে আবার মনে হয় একা একা নীলগিরির মেঘ ছুঁয়ে আসতে। মনে হয় মেঘ হয়ে উড়ে যাই এক দেশ থেকে আরেক দেশে. ঘুরে দেখতে পুরো পৃথিবী। জেনে নিতে মন চায় সব অজানা. জিতে নিতে পুরা বিশ্ব! অষ্টাদশী হয়েছে আরও একটু পরিপক্ব. আত্মবিশ্বাসের জায়গা মজবুত হয়েছে আরও। সব ইচ্ছেতে একটু একটু শুরু হয়েছে বিচারবোধ। কারণ. উনিশে পড়ে গেছে পা। পোশাকে ভিন্নতাএই বয়সে মেয়েরা নিজের সৌন্দর্য. ভালো লাগা. পরিবার. বন্ধুবান্ধব. লেখাপড়া. আশপাশের পরিবেশ—সব নিয়ে একটু সচেতন হয়ে ওঠেন। পোশাক তার মধ্যে অন্যতম। নতুন কোন ফ্যাশন চলছে. কোন স্টাইলে নিজেকে সবার থেকে একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করা যায়. তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনাকল্পনা। সাধারণত. মেয়েরা এখন সালোয়ার কুর্তা বা জিনস টপে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কুর্তাতেও এখন এসেছে নতুন ছাঁট ও কাট। আঁটসাঁট কামিজ বা কুর্তার চেয়ে একটু এ-লাইন প্যাটার্নের বা বেশি ঢিলা টপ বেশি জনপ্রিয়। সে ক্ষেত্রে হাতায় এসেছে অনেক রকম ভিন্নতা। বেল স্লিভস. রাফেলস. টিউলিপ. ফ্রিল. কোল্ড শোল্ডার—নতুন নতুন হাতা এই বয়সের মেয়েরা স্বাচ্ছন্দ্যে যোগ করে নিচ্ছেন তাঁদের পোশাকে। এ ক্ষেত্রে তিন বা সাড়ে তিন হাতাওয়ালা পানা কাপড়ের দেড় গজ কাপড়ে হয়ে যাবে টপ। রাফেলস বা বেল স্লিভসের জন্য আরেকটু কাপড় বাড়িয়ে কিনতে হবে। টপের রংটি একরঙা হয়ে হাতাটা হতে পারে প্রিন্টের। কিংবা একটা প্রিন্টের টপের সঙ্গে পরতে পারেন একরঙা প্যান্ট বা স্কার্ট। প্যান্টেও এখন অনেক ধরনের প্যাটার্ন জনপ্রিয়—টিউলিপ প্যান্ট. বক্স প্লিট প্যান্ট. হারেম প্যান্ট. সারারা প্যান্ট. রাফেলস প্যান্ট. ডিভাইডারে হেমলাইনে ফ্রিল বা লেসের সমন্বয়। আড়াই হাত পানার কাপড়ে আড়াই থেকে তিন গজ কাপড়ে হয়ে যাবে এসব প্যান্ট। তবে হারেম প্যান্ট বা সারারা প্যান্টে কাপড় কিনতে হবে আরেকটু বেশি। সুতি. লিনেন বা সিল্কে পাওয়া যায় বিভিন্ন রঙের বা প্রিন্টের কাপড়। বন্ধুদের আড্ডায়. ক্লাসে বা কোচিংয়ের জন্য এই কাপড়গুলো দিয়ে পছন্দমতো কিছু বানিয়ে নিতে পারেন বা কিনেও নিতে পারেন। ফ্যাশনেবলের পাশাপাশি এই কাপড়গুলো আরামদায়কও। দাওয়াতেকোনো বিয়েবাড়ির দাওয়াতে বা আত্মীয়ের বিয়েতে কাপড় নিয়ে দেখা যায় উনিশের মেয়েদের বাড়তি ঔৎসুকতা। কী পোশাক পরবেন. তার কাট বা ধরন. রং এবং সাজ নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনাকল্পনা। এ ক্ষেত্রে লেহেঙ্গা. ক্রপ টপের সঙ্গে ঘেরওয়ালা স্কার্ট. সারারা কামিজ. গাউন বেশ জনপ্রিয়। সিল্ক. জর্জেট. ভেলভেট. কাতান সিল্ক—যেকোনো একরঙা কাপড়ে টপ এবং প্রিন্ট কাপড়ে স্কার্ট বা লেহেঙ্গার সঙ্গে চওড়া লেসের পাড় হতে পারে। প্রিন্ট এবং একরঙা—দুটোই মানিয়ে যাবে। এর সঙ্গে চুলের ব্লো ড্রাই. কোঁকড়া বা ছাড়া চুলে হতে পারে সেই সাজ। সঙ্গে হালকা একটু সাজ. হাতভর্তি চুড়ি বা হালফ্যাশনের লম্বা কানের দুল। ব্যস. তৈরি। উনিশের নিজস্ব সৌন্দর্য. বুদ্ধিদীপ্ত চোখ আর নির্মল হাসি তাঁকে সারাক্ষণ করে রাখবে উচ্ছল আর প্রাণবন্ত।লেখক: ডিজাইনার. মুমু মারিয়া | 1,572,750 |
2019-01-01 | খাবার হোক স্বাস্থ্যকর | null | রাফিয়া আলম | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572747/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%B0 | life-style | print | 1 | নকশা|খাবারদাবার|পরামর্শ | ভোজনরসিক বাঙালিমাত্রই তেল-মসলা দেওয়া খাবার ভালোবাসে। কাচ্চি-রোস্টে বিয়েবাড়ির ভোজ কিংবা বাড়ি ফেরার পথে পুরি-শিঙাড়ায় নিত্য উদরপূর্তি—তেল আর মসলা না হলে খাবারের আয়োজনটাই যেন পানসে। ইতালীয় কায়দায় তৈরি পাস্তা খেতে বসেও পাতে চাই বাড়তি মেয়োনেজ কিংবা লবণ।তবে এত তেল-মসলা শরীরে সইবে তো? বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন. প্রতিটি মসলা ও তেলের গুণাগুণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রান্নায় এগুলোর ব্যবহার পরিমিত হলে একদিকে যেমন স্বাদে আসে নতুনত্ব. অন্যদিকে পরিপাকতন্ত্রের কাজে সহায়তা করে। তবে এই দুটি জিনিসের ব্যবহার অতিরিক্ত হলে বেড়ে যাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি। অতিরিক্ত তেল ও মসলায় যা হয়● শর্করা ও আমিষজাতীয় খাবারের তুলনায় তেলজাতীয় খাবার থেকে আড়াই গুণ বেশি ক্যালরি আসে। মানে. ভাতের বদলে সমপরিমাণ পোলাও খেলে কিংবা রুটির বদলে সমপরিমাণ পরোটা খেলে আপনি আড়াই গুণ বেশি ক্যালরি পাবেন। ফলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে।● অতিরিক্ত তেল ও মসলায় তৈরি খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ডুবোতেলে ভাজা খাবারে অ্যাসিডিটির আশঙ্কা আরও বেশি।● গুরুপাক বা অতিরিক্ত মসলা দেওয়া খাবার খেলে পেটের অন্যান্য সমস্যাও দেখা যায়। এমনকি আলসারও হতে পারে। অতিরিক্ত তেল-মসলা দিয়ে তৈরি খাবার সহজে হজমও হয় না।● একই তেলে বারবার ভাজা খাবার খেলে রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়তে পারে। সঙ্গে বেড়ে যায় হৃদ্রোগের ঝুঁকি। করণীয়অতিরিক্ত তেল-মসলার অপকারিতা সম্পর্কে তো জানা হলো। এবার জেনে নিন আপনার করণীয়—● অন্য কোনো অসুখ না থাকলে অতিরিক্ত তেল ও মসলা দেওয়া গুরুপাক খাবার মাঝেমধ্যে খেতে পারেন। তবে অল্প পরিমাণে।● পেটের বিভিন্ন সমস্যা থাকলে এ ধরনের খাবার একেবারে বাদ দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম (আইবিএস) আক্রান্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত তেল-মসলা খেলে সমস্যায় ভুগতে পারেন। যাঁদের আলসার রয়েছে কিংবা যাঁরা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন. তাঁদেরও এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। ডায়রিয়া বা ডিসেন্ট্রি আক্রান্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেলে সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ডায়রিয়া বা ডিসেন্ট্রি হলেও এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়।● কাউকে নিমন্ত্রণ করলে তাঁর স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রাখুন। নিজের খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। স্থূল শরীরে নিজের অশান্তি না বাড়াতে চাইলে খাবার খাওয়ার সময় সচেতনতা জরুরি। | 1,572,747 |
2019-01-01 | আ. লীগ ছাড়া জামানত খুইয়েছেন প্রায় সবাই | null | প্রণব বল ও সুজন ঘোষ. চট্টগ্রাম | ২৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572748/%E0%A6%86.-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87 | bangladesh | print | 1 | নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|চট্টগ্রাম|বিএনপি | • চট্টগ্রামের ১৬ আসন • বিএনপির ১০ জনসহ ৯৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত• ১০ আসনে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট• শূন্য ভোট পেলেন একজন • চট্টগ্রামের ১৬ আসন • বিএনপির ১০ জনসহ ৯৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত• ১০ আসনে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট• শূন্য ভোট পেলেন একজন নজিরবিহীন নির্বাচনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের বিজয়ী ১৬ জন ছাড়া প্রায় সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ১১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৫ জন জামানত হারিয়েছেন। এ তালিকায় আছেন ২০–দলীয় জোটের সমন্বয়ক অলি আহমদ. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ ঐক্যফ্রন্টের ১০ প্রার্থী। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১০টি আসনে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছে। ১১৭ প্রার্থীর মধ্যে চট্টগ্রাম-১০ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফকে শূন্য ভোট দেখানো হয়। জামানত হারানো বিএনপি জোটের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী. চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের সাবেক সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা. চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাবেক সাংসদ নুরুল আলম. চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের আসলাম চৌধুরী. চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের জসিম উদ্দিন সিকদার। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের বিএনপি প্রার্থী সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজাম শুধু জামানতই হারাননি. এখানে তিনি তৃতীয় হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬২১ ভোটের ব্যবধানে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। চট্টগ্রাম-১০ আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান পরাজিত হয়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে। এলডিপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী অলি আহমদ পরাজিত হন ১ লাখ ৬৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন. ‘আমাদের এজেন্ট. সমর্থক. সাধারণ ভোটার কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। এই প্রতিবাদে আমিও ভোটদানে বিরত ছিলাম। এটা প্রহসনের নির্বাচন।’ জামানত বাঁচল যাঁদের চট্টগ্রাম-১১ তে কোনোভাবে জামানত রক্ষা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। তিনি এম এ লতিফের কাছে ২ লাখ ৩০ হাজার ভোটে পরাজিত হন। জামানত রক্ষা করতে পারা অপর ভাগ্যবানেরা হলেন চট্টগ্রাম-২ আজিম উল্লাহ বাহার. চট্টগ্রাম-৫ সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম. চট্টগ্রাম-৮ আবু সুফিয়ান. চট্টগ্রাম-১২ এনামুল হক ও চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম। | 1,572,748 |
2019-01-01 | তেল কম মসলা কম | রেসিপি | null | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572746/%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AE | life-style | print | 1 | রেসিপি|খাবারদাবার|নকশা | অনেকে মনে করেন খাবারে বেশি তেল আর মসলা যুক্ত হলেই মজাদার হবে। এই ধারণা সঠিক নয়। বেশি তেল ও মসলা শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। কম মসলায় রান্না করা যায় স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার। রেসিপি দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌসজুসি চিকেন রোস্ট উপকরণ: মুরগি ১ কেজি. আদাবাটা ১ চা–চামচ. রসুনবাটা ১ চা–চামচ. সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ. টকদই ৪ টেবিল চামচ. টমেটো সস ১ টেবিল চামচ. লবণ পরিমাণমতো।প্রণালি: মুরগির চামড়া রেখে পরিষ্কার করে সব উপকরণ দিয়ে ম্যারিনেট করে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। স্টিমার (সেদ্ধ করার পাত্র) বা বড় হাঁড়িতে পানি দিয়ে মুরগির পাত্র রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভাপে ৪০-৪৫ মিনিট রান্না করতে হবে। মুরগি থেকে ঝোল বের হবে। অল্প জালে চুলায় রেখে নাড়াচাড়া করে ঝোল শুকিয়ে নিন। ভাপের মুরগি মোটা করে কাটা সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। দেশি মুরগির পদউপকরণ: মাঝারি আকারের দেশি মুরগি ১টি. আদাবাটা ১ চা–চামচ. রসুনবাটা ১ চা–চামচ. পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ. গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ. তেল ১ টেবিল চামচ. টকদই ৪ টেবিল চামচ. সবজি ২ কাপ (গাজর. বেবিকর্ন. চাইনিজ ক্যাবেজ. ফুলকপি. ব্রকলি. স্কোয়াস. ক্যাপসিকাম ইত্যাদি). কাঁচা মরিচ ৪টি. দারুচিনি ২ টুকরা. এলাচ ২টি. লবঙ্গ ৪টি. তেজপাতা ১টি।প্রণালি: মুরগি পরিষ্কার করে পছন্দমতো টুকরা করে টকদই ও সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ২৫-৩০ মিনিট রেখে দিন। ননস্টিক প্যানে তেল গরম করে সবজি কিছুক্ষণ ভেজে মাংস দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এবার গরম পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। ঝোল কমে এলে চুলা বন্ধ করে দিন। ভাপে কোরালউপকরণ: কোরাল মাছ ১ কেজি ওজনের ১টি. লেবুর রস ২ টেবিল চামচ. রসুনবাটা ১ চা–চামচ. কাঁচা মরিচবাটা ১ চা–চামচ. টমেটো সস ২ টেবিল চামচ. ফিশ সস ১ টেবিল চামচ. অয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ. জলপাই তেল ১ চা-চামচ. লবণ পরিমাণমতো।প্রণালি: মাছ পরিষ্কার করে দুই পিঠে ছুরি দিয়ে দাগ কেটে সব উপকরণ দিয়ে ম্যারিনেট করুন। স্টিমার বা বড় হাঁড়িতে পানি দিয়ে মাছের পাত্র রেখে ৩০-৩৫ মিনিট রান্না করতে হবে। গ্রিলারে বা ওভেনে ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ২০-২৫ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন। ভেজিটেবল স্টার ফ্রাইউপকরণ: টুকরো করে কাটা সবজি ২ কাপ (ফুলকপি. বাঁধাকপি. চাইনিজ ক্যাবেজ. রেড ক্যাবেজ. গাজর. বেবিকর্ন. ব্রকলি. স্কোয়াস. পছন্দমতো রঙের ক্যাপসিকাম). পেঁয়াজ ২টি (ভাজে খোলা). কাঁচা মরিচ ৩-৪টি. আদাকিমা ১ চা–চামচ. রসুনকিমা ১ চা–চামচ. জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ. ফিশ সস ১ টেবিল চামচ. অয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ. ভিনেগার ১ টেবিল চামচ. চিনি ১ চা–চামচ. পানি ৩ টেবিল চামচ. লবণ পরিমাণমতো।প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে হবে। ননস্টিক ফ্রাইপ্যানে জলপাই তেল গরম করে রসুন. আদা. কাঁচা মরিচ. পেঁয়াজ ও সবজি পর্যায়ক্রমে দিয়ে ভাজুন। লবণ দিন। সবজি ভাজা হলে কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণে ১ চা–চামচ গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে নামাতে হবে। লাউপাতায় মোড়ানো টাটকিনিউপকরণ: টাটকিনি মাছ ৮টি. লাউপাতা ৮টি. টমেটো ২টি. পেঁয়াজকুচি আধা কাপ. কাঁচা মরিচবাটা ১ চা–চামচ. কাঁচা মরিচ ৮টি. হলুদগুঁড়া সামান্য. লবণ পরিমাণমতো. ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ. পেঁয়াজপাতা ১টি. সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ।প্রণালি: লাউপাতা গরম পানিতে অল্প কিছুক্ষণ রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে লেবুর রস মাখিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ. কাঁচা মরিচবাটা. লবণ. হলুদ. ধনেপাতাকুচি ও তেল একসঙ্গে মাখিয়ে মাছের গায়ে লাগিয়ে টমেটো স্লাইস. আস্ত কাঁচা মরিচ. লাউপাতা দিয়ে মাছ মুড়িয়ে নিতে হবে। ফ্রাইপ্যানে পেঁয়াজপাতা বিছিয়ে লাউপাতায় মোড়ানো মাছ রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প জ্বালে ৩০ মিনিট রান্না করতে হবে। মাঝে একবার উল্টে দিন। কিছুক্ষণ দমে রেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লাউপাতায় মোড়ানো টাটকিনি। ছবি: সুমন ইউসুফ | 1,572,746 |
End of preview. Expand
in Dataset Viewer.
No dataset card yet
New: Create and edit this dataset card directly on the website!
Contribute a Dataset Card- Downloads last month
- 3