category
stringclasses 7
values | title
stringlengths 4
148
| text
stringlengths 22
34.6k
| summary
stringlengths 1
8.73k
|
---|---|---|---|
international | ব্রিটিশ এম্পায়ার মেডেল পেলেন রেহানা খানম রহমান | ব্রিটেনের রাজ পরিবারের দেওয়া 'মেডেল অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার' পদকে ভূষিত হয়েছেন রেহানা খানম রহমান। বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক রেহানা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক।
স্নাতক অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৭৭ সালে সিলেট থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমান রেহানা। তিনি গ্রিনিচ ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ৩৫ বছর বিভিন্ন পেশা ও শিক্ষকতা শেষ করে তিনি ২০১৪ সালে অবসর নেন। তিনি এখন তার পরিবারের সঙ্গে লন্ডন শহরে বসবাস করছেন।
রেহানার বাবা আতাউর রহমানও ১৯৬৭ সালে অবিভক্ত পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজেকে নিয়োগ করেছেন মানবতার সেবায়। শিক্ষকতা, লেখালেখি ও সমাজসেবার জন্য তিনি ব্রিটিশ বাংলাদেশি সমাজে সুপরিচিত।
কয়েকটি বইয়ের গ্রন্থকার রেহানা কলম একাডেমি লন্ডনের উপদেষ্টা। তিনি পরিবেশবাদী সংগঠন অমরাবতির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।
চার সন্তানের মা রেহানা। তারা সন্তানরাও দেশে-বিদেশে চিকিৎসা ও অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
| ব্রিটেনের রাজ পরিবারের দেওয়া 'মেডেল অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার' পদকে ভূষিত হয়েছেন রেহানা খানম রহমান। বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক রেহানা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক। |
international | কুয়ালালামপুরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশিদের ১৮ প্রতিষ্ঠান সিলগালা | মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিকদের পরিচালিত ১৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে দেশটির কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশনের (ডিবিকেএল) এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট।
গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর আশেপাশের জালান কুচাই লামা, জালান পান্তাই দালাম, তামান মেলাতি গোমবাক, জালান পুডু চেরাস, জালান জিনজান, তামান ফাদাসন কেপং, জালান দেশা তাসিক সুঙ্গাই বেসি ও পেকানের ৮ স্থানে অভিযান চলাকালে মোট ২৫টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ১৮টি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
সিটি করপোরেশন বলছে, বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের মালিকানাধীন এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বৈধ কোনো ব্যবসায়িক কাগজপত্র না থাকায় সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে।
২৪ আগস্ট ফেসবুকে এক বিবৃতিতে ডিবিকেএল বলেছে, বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের মালিকানাধীন কার ওয়াশ, পোশাক, ব্যাগ, মোবাইল ফোন সরঞ্জাম, রেস্টুরেন্টসহ ২৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। বৈধ ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে ১৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিদেশিদের নিয়োগ এবং ডিবিকেএল থেকে লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করায় মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়।
কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন বলছে, ১১টি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় বিদেশি নাগরিক পরিচালিত যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব এলাকায় ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত চলবে।
লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক
| মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিকদের পরিচালিত ১৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে দেশটির কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশনের (ডিবিকেএল) এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। |
international | মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে | মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে দুই জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে মো. কামরুল হোসেন ও একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. দুলাল মিয়া।
এই দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, দুজনেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন। তারা একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরওমালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
রোববার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের কাজাং কেটিএম পুনচাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এ দুর্ঘটনায় নিহত হন এই দুই বাংলাদেশি।
সোমবার সকালে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বার্নামার প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বাংলাদেশি ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।
দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি এবং একজন ইউএনকার্ডধারী মিয়ানমারের নাগরিক। নিহতদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং তাদের আকস্মিক মৃত্যু হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাজাং জেলা পুলিশের উপ-প্রধান সুপার মোহাম্মদ নাসির দ্রাহমান ।
আরওমালয়েশিয়ায় প্রতারণার শিকার, চাকরিহীন ১০৪ বাংলাদেশি
তিনি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'ময়নাতদন্তের জন্য দুই নিহত বাংলাদেশির মরদেহ কাজাং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে।'
এ ছাড়াও, দুর্ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে আর কোনো তথ্য থাকলে তদন্তের স্বার্থে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন বা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসজেন আরিফিনকে ০১২-২৪৪৪৬০৮ নাম্বারে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা নাসির।
রোববার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের কাজাং কেটিএম পুনচাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এ দুর্ঘটনায় নিহত হন এই দুই বাংলাদেশি।
সোমবার সকালে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বার্নামার প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বাংলাদেশি ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।
দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি এবং একজন ইউএনকার্ডধারী মিয়ানমারের নাগরিক। নিহতদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং তাদের আকস্মিক মৃত্যু হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাজাং জেলা পুলিশের উপ-প্রধান সুপার মোহাম্মদ নাসির দ্রাহমান ।
তিনি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'ময়নাতদন্তের জন্য দুই নিহত বাংলাদেশির মরদেহ কাজাং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে।'
এ ছাড়াও, দুর্ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে আর কোনো তথ্য থাকলে তদন্তের স্বার্থে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন বা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসজেন আরিফিনকে ০১২-২৪৪৪৬০৮ নাম্বারে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা নাসির।
| মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে দুই জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে মো. কামরুল হোসেন ও একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. দুলাল মিয়া। |
international | ঢাকা-আবুধাবি রুটে বন্ধ হচ্ছে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট | সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আয়াটা অনুমোদিত বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্ট হেলমাক ট্রাভেলস এলএলসির পরিচালক জামিল কাইয়ূম বলেন, 'ইতোমধ্যে আমাদেরকে ইতিহাদ থেকে মেইল করে এবং আয়াটা অনুমোদিত পোর্টালের মাধ্যমে সব এজেন্সিকে জানিয়ে দিয়েছে। তবে কী কারণে ফ্লাইট স্থগিত করছে এ বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করেনি ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।'
আগামী ৬ নভেম্বর ইতিহাদে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল মুহাম্মদ খোকনের। তিনি জানান, তাকে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ মেইল দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাভেল এজেন্ট বা নিকটস্থ ইতিহাদের অফিস থেকে টাকা ফেরত নিয়ে যেতে।
গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ফর এয়ারলাইনস মাধ্যমে জানিয়েছে, যারা ইতোমধ্যে ইতিহাদের টিকিট কেটে ফেলেছেন তাদের টিকিটের টাকার পুরো অংশ ফেরত দেওয়া হবে। কোনো ধরনের জরিমানা বা প্রশাসনিক ফি কাটা হবে না। কেউ যদি রিটার্ন টিকিট কেটে ওয়ানওয়ে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তার ফিরতি ফ্লাইটের টাকা ফেরত দিয়ে দেবে তারা।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ২০০৬ সাল থেকে আবুধাবি থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে আবুধাবি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। তাদের সর্বশেষ ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়বে ২৮ অক্টোবর।
| সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। |
entertainment | মিশিগানে জেমস উন্মাদনা | যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান মাতালেন ব্যান্ড তারকা জেমস। ডিট্রয়েট সিটির বাংলা টাউন নামে জেইন ফিল্ডের মেলা প্রাঙ্গণে গত রোববার প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ও আমেরিকান দর্শক-স্রোতা তার গিটারের সুর ও গানে আনন্দে মেতে ওঠেন।
রোববার ছিল ৩ দিনব্যাপী ২২তম নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালের শেষ দিন।
দুপুর থেকেই দর্শক-স্রোতা আসতে থাকেন মেলা প্রাঙ্গণে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ খ্যাত কনান্ট-ডেভিসন রোডের ট্রাফিক জ্যাম সরাতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়। সময় যত গড়াতে থাকে বাংলাদেশিদের আগমন ততই বাড়তে থাকে।
আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টায় নগর বাউলের জেমসের আসার কথা থাকলেও প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে ও তাকে দেখতে দুপুর থেকেই অপেক্ষা থাকেন মাঠভর্তি দর্শক-শ্রোতা।
অভিনেতা রীচি সোলায়মান ও শারমিনা সিরাজ সোনিয়া যখন ২২তম নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালে ব্যান্ডের নাম উচ্চারণ করেন, তখনই শুরু হয় দর্শকদের তুমুল করতালি। রাত ১০টায় স্টেজে আসেন জেমস।
জেমসের আমেরিকা সফরে কয়েকটি কনসার্ট হলেও মিশিগানে ছিল সর্বশেষ ও উন্মুক্ত কনসার্ট। এই কনসার্টে মিশিগান ছাড়াও ওহাইও, শিকাগো (ইলিনয়স), নিউজার্সি ও কানাডা থেকে কয়েক শ' বাংলাদেশি জড়ো হন প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে।
মাথায় গামছা বেঁধে, গিটার হাতে সুর তুলতেই পুরো মাঠে শুনশান নিরবতা, 'কবিতা' গান দিয়ে শুরু হয় কনসার্ট। নির্ধারিত গানের বাইরে দর্শকদের অনুরোধে একে একে আরও অনেকগুলো জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন এই তারকা শিল্পী।
প্রিয় শিল্পীকে সামনে থেকে দেখে ভক্তদের অনেকেই জানান, জেমসের অনেক গান শুনেছেন তারা, কখনো সরাসরি দেখননি। মেলায় তাকে কাছ থেকে দেখা ছিল স্বপ্নের মতো।
আরও পারফর্ম করেন আরেক তারকা সংগীতশিল্পী রিজিয়া পারভিন, প্রবাসী শিল্পী পৃথা দেব, রিয়া রহমান, প্রেমা রহমানসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশি মালিকাধীন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ, ডিট্রয়েট সিটি কাউন্সিলর স্কাট বেনসন, বেপাকের চেয়ারম্যান এহসান তাকবিম ববিভ।
উপস্থিত ছিলেন আকিকুল হক শামীম, নাসির সবুজ, খালেদ আহমদ, সাকের উদ্দিন সাদেকসহ আয়োজক কমিটির সদস্যরা।
মেলায় ছিল দেশীয় কাপড়ের দোকান ও খাবারের স্টল।
লেখক: মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
| যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান মাতালেন ব্যান্ড তারকা জেমস। ডিট্রয়েট সিটির বাংলা টাউন নামে জেইন ফিল্ডের মেলা প্রাঙ্গণে গত রোববার প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ও আমেরিকান দর্শক-স্রোতা তার গিটারের সুর ও গানে আনন্দে মেতে ওঠেন। |
economy | কোরিয়াফেরত ৩ শতাধিক ইপিএস কর্মী বিমার টাকা ফেরত পাবেন | কোরিয়াফেরত তিন শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী যারা এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) এ দেশটিতে গিয়েছিলেন তাদের বিমার টাকা ফেরত দেবে দক্ষিণ কোরিয়া।
আজ বুধবার কোরিয়া দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সব কর্মীকে বিমার আওতাধীন হতে হয় এবং কোরিয়া থেকে ফেরত আসার সময় সেই বিমার অর্থ নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু কিছু কর্মী সেই বিমার অর্থ ফেরত নিয়ে আসতে ভুলে যান। এরকম প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী বিমার টাকা পাবেন। যার পরিমান মাথাপিছু ৩০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
২০০৮ সাল থেকে ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়াতে কর্মী যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬১ জন কর্মী কোরিয়াতে গিয়েছে। শুধু মাত্র এই বছরই ৫ হাজার ৬০০ কর্মী কোরিয়াতে যাচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকাস্থ এইচআরডি কোরিয়া সেন্টার কোরিয়াফেরত ইপিএস কর্মীদের বিমার অর্থ ফিরিয়ে দিতে দশ বছর যাবত বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীদের খোঁজ করে যাচ্ছে । এই পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীদের একটি তালিকা HRD Korea EPS Center in Bangladesh এর ফেসবুক পেজে https://www.facebook.com/profile.php?id=100044257253995 আজ প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকায় উল্লিখিত সবাই আবেদন করতে পারবেন বামার অর্থের জন্য। এছাড়া তালিকাভুক্ত কেউ যদি জীবিত না থাকেন সেক্ষেত্রে বিবাহিত হলে স্ত্রী কিংবা সন্তান, অবিবাহিত হলে পিতা-মাতা যথোপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
| কোরিয়াফেরত তিন শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী যারা এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) এ দেশটিতে গিয়েছিলেন তাদের বিমার টাকা ফেরত দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। |
state | কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র | মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
আজ বুধবার কুয়ালালামপুরের জালান আমপাং এলাকায় নতুন এ সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার এটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার মো. খোরশেদ আলম খাস্তগীর, মিনিস্টার (শ্রম) মো. নাজমুস সাদাত সেলিম, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মো. হাসান তারিক মন্ডল, দূতালয় প্রধান ও কাউন্সেলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের নতুন ঠিকানা হলো ৩০ জালান আমপাং, কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার।
পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্রের সেবা পাওয়া যাবে সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
শনিবার ও রবিবার এ সেবাকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
| মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। |
sports | ওমানের জাতীয় লীগে বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের সাফল্য | মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের জাতীয় লীগের 'সিনিয়র ডি' বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব।
দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় 'সিনিয়র ডিভিশন টি ২০ ক্রিকেট লিগ' এর 'ই' ডিভিশনের গ্রুপ পর্বে রানার আপ হয়ে এ অর্জন প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী ক্লাবটির।
৮টি দলের এ গ্রুপে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রবাসী ভারতীয়দের দল 'ন্যাশনাল টেকনিক্যাল সার্ভিস (এনটিএস)'। চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে ১০ পয়েন্ট নিয়ে 'সিনিয়র ডি' ডিভিশনে উঠেছে রানার আপ বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব।
শুক্রবার রাজধানী মাস্কাটের আমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের শেষ ও রানারআপ নির্ধারণী খেলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব ২৫ রানে প্রবাসী ভারতীয় ও পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া পেইস প্লেয়ার্সকে পরাজিত করে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক আরফাজ। ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সাইফুল ইসলাম ৩৭ বল খেলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন। এ ছাড়া মিরাজ ১১ বলে ১৮ রান, ওবায়েদ খান ১১ বলে ১৩ রান, আলম ৭ বলে ১৭ রান, সোহাগ ২২ বলে ২৩ রানের স্কোর তোলেন।
প্রতিপক্ষ পেইস প্লেয়ার্সের মোহাম্মদ আবরার ৩৭ রানে ৩ উইকেট, সুখন্দর সিং ২৮ রানে ২ উইকেট এবং জহির ৩৭ রানে ২ উইকেট নেন।
জবাবে পেইস প্লেয়ার্স ১৭২ রানের জন্য খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। তেজেশ শেঠি ৩৩ রান এবং কামেশ মহারাজা ওআলী হাসান ২১ রান করে সংগ্রহ করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের ওবায়েদ ২২ রানে ২ উইকেট এবং সানি, মিজান, সাইফুল, আলম ১টি করে উইকেট করে নেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের সাইফুল ইসলাম ৫৯ রান ও ২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও সাইফুল ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের জন্য সেরা ব্যাটসম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন।
ওমানি ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশি অনেকে দর্শক মাঠে খেলা উপভোগ করেন। মাঠে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের পৃষ্টপোষক ও কর্মকর্তারাও।
২০২২ সালে ক্রীড়াপ্রেমী কয়েকজন প্রবাসী উদ্যোক্তার হাতে ধরে যাত্রা শুরু করে 'বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব'। প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ ও উৎসাহী খেলোয়াড় নিয়ে গড়া ক্লাবটি খুব কম সময়ে ওমানের ক্রীড়াপ্রমীদের কাছে পরিচিত পায়, সেসঙ্গে পায় ধারাবাহিক সাফল্য। 'এফ' দিয়ে শুরু করে গত বছরই 'ই' ডিভিশনে উঠে। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে 'ডি' ডিভশনে জায়গা করে নিলো। ক্লাবটির একটি নারী ক্রিকেট দলও আছে।
নতুন সাফল্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বেশ উচ্ছাসিত ক্লাব কর্মকতারাও।
ক্লাব প্রেসিডেন্ট আশরাফুর রহমান বলেন, 'মাত্র ২ বছরের মধ্যে এ পর্যায়ে আসতে পারব বলে আমাদের ভাবনায় ছিল না। তবে বিশ্বাস ছিল, আমাদের খেলোয়াড়রা যে পরিশ্রম-অনুশীলন করছে তাতে লক্ষ্য পৌঁছাতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। এখন আমরা আরও বড় স্বপ্ন দেখতে পারি।'
ওমান ক্রিকেট বোর্ড, পৃষ্টপোষক, খেলোয়াড় ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ক্লাব সেক্রেটারি শেখ ফাহাদ বলেন, 'আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। দলকে আরও দক্ষ-প্রশিক্ষিত করে তুলতে আমরা বড় পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি। প্রত্যাশা করি, এ ক্ষেত্রে পৃষ্টপোষক ও বাংলাদেশিদের সমর্থন-সহায়তার কমতি হবে না।'
| মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের জাতীয় লীগের 'সিনিয়র ডি' বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব। |
international | ২০২৩ সালে দেশে এসেছে রেকর্ড ৪৫৫২ প্রবাসীর মরদেহ | পরিবারের দারিদ্র ঘোচাতে ২০১৯ সালে শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরব যান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাবিব খালাসী। কিন্তু গত বছর লাশ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
রিয়াদে মেটাল-স্ক্র্যাপ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এক সন্তানের পিতা হাবিব (৩৩)। সৌদি রাজধানীর বাইরে একটি এলাকায় পুরোনো ক্যামেল শেডে কাজ করার সময় গত ৩ মে মাথায় লোহার বড় টুকরো এসে পড়লে মৃত্যু হয় হাবিবের।
হাবিবের ছোট ভাই মাহবুব খালাসী টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হাবিব যখন সৌদিতে যান, তখন তার পরিবারে ব্যাপক আর্থিক সংকট ছিল। কিন্তু সৌদিতে যাওয়ার পর হাবিব যখন টাকা পাঠাতে শুরু করেন, তখন তার পরিবার ভেবেছিল তাদের টানাপোড়েন শেষ হয়েছে।
হাবিবের মৃত্যুর পর এখন তার বৃদ্ধ বাবা-মা ও নাবালক সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের (ডব্লিউইডব্লিউবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে রেকর্ড চার হাজার ৫৫২ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে। তাদের একজন হাবিব। এর আগের বছর দেশে আসে তিন হাজার ৯০৪ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ।
স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছরই বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে যান। বিশেষ করে, বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্যস্থল মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু তাদের অনেককেই দেশে ফিরতে হয় লাশ হয়ে।
ডব্লিউইডব্লিউবি ১৯৯৩ সালে প্রথম এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৫১ হাজার ৯৫৬ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে। গত ১০ বছরে এসেছে ৩৪ হাজার ৩২৩ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ।
ডব্লিউইডব্লিউবির বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে এসেছে ১৭ হাজার ৮৭১ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ। এর ৬৭ দশমিক চার শতাংশই এসেছে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) আওতাভুক্ত ছয় দেশ থেকে। দেশগুলো হলো—সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন।
মরদেহগুলোর মধ্যে পাঁচ হাজার ৬৬৬টি এসেছে সৌদি আরব থেকে, এক হাজার ৯১৩টি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও এক হাজার ৮৯৩টি ওমান থেকে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এক কোটি ৬০ লাখ শ্রমিকের ৭৬ দশমিক তিন শতাংশই গিয়েছেন জিসিসির ছয় দেশে।
সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Migrant Workers: Record 4,552 returned home dead last year
| পরিবারের দারিদ্র ঘোচাতে ২০১৯ সালে শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরব যান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাবিব খালাসী। কিন্তু গত বছর লাশ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি। |
international | সিডনিতে ছুরিকাঘাতে নিহতদের স্মরণে অপেরা হাউজে কালো ব্যাজ | অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি শপিং সেন্টারে গণহত্যার শিকারদের শোক ও সম্মান জানাতে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে আইকনিক স্থাপত্যের ল্যান্ডমার্ক কালো ফিতা দিয়ে আলোকিত হয়েছে।
গত শনিবার সিডনির পূর্ব শহরতলির বন্ডাই জংশন ওয়েস্টফিল্ড শপিংমলে ছুরিকাঘাতে ৬ জন মারা গেছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ জন। গত রোববার নিহতদের সম্মানে সরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ ঘোষণা করেছিলেন যে ফেডারেল সংসদ ভবনসহ অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত সরকারি ভবন 'শোক ও শ্রদ্ধা' জানাতে তাদের পতাকা নামিয়ে দেবে।
রাত নামার সাথে সাথে সিডনি অপেরা হাউস তার কিংবদন্তি বাঁকা সাদা পালগুলো একটি কালো ফিতা দিয়ে রূপান্তরিত করেছে।
গোয়েন্দারা এখনও শপিং সেন্টারে ভয়ঙ্কর ছুরিকাঘাতের তাণ্ডব সংক্রান্ত প্রমাণগুলো একত্রিত করার জন্য কাজ করছে।
ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় ১২ জন হাসপাতালে রয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ৯ মাস বয়সী একটি শিশুসহ বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি শপিং সেন্টারে গণহত্যার শিকারদের শোক ও সম্মান জানাতে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে আইকনিক স্থাপত্যের ল্যান্ডমার্ক কালো ফিতা দিয়ে আলোকিত হয়েছে। |
international | আরব আমিরাতে গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশির মৃত্যু | সংযুক্ত আরব আমিরাতের উম্মুল কুয়াইনে গাড়ির ধাক্কায় এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার নাম নুরুল আমিন (৩৪)।
গতকাল বুধবার উম্মুল কুয়াইন শহরে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে গুরুতর আহত হন আমিন।
পরে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আমিনের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। তিনি হাটহাজারীর আলাওল পাড়ার ফতেহপুর গ্রামের মৃত জেবল হোসেনের ছেলে।
আমিনের স্বজন সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আমিরাতে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দেশে পাঠানো হবে।
| সংযুক্ত আরব আমিরাতের উম্মুল কুয়াইনে গাড়ির ধাক্কায় এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার নাম নুরুল আমিন (৩৪)। |
education | উচ্চশিক্ষায় ভাষার দেয়াল ও সাংস্কৃতিক অভিঘাত | যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসবার পর প্রথম কয়েক মাস লেগেছিল এখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে 'স্বাভাবিক' যোগাযোগ করতে। সেই ছোটবেলায় ইংরেজি শিক্ষার হাতেখড়ি হলেও একেবারে পশ্চিমে না আসা পর্যন্ত বোঝা সম্ভব হয়নি; স্থানীয়দের উচ্চারণ, ভাষার অর্থ কত ভিন্ন হতে পারে।
ক্লাসে লেকচার তো ঠিকই বুঝতাম, তবে সহপাঠীদের সঙ্গে আলাপে কিংবা কোনো আয়োজনে যেখানে আনুষ্ঠানিকতার ধার কেউ ধারে না, সেখানে আড্ডা বা গল্পের সময় পার্থক্যগুলো বেশ বোঝা যেত। প্রথমদিকে মনে হতো, এত গ্রামার, নিয়ম শেখা একেবারেই বৃথা। কেন না একেক লোকালয়ের উচ্চারণ, বচনভঙ্গি যে আলাদা হবে এটা অকাট্য সত্য।
তবে এ নিয়ে এখানকার কারও মধ্যে কোনো সংকোচ বা মাথাব্যথা দেখিনি। না অধ্যাপক, না আমার আমেরিকান সহপাঠী। এমনকি আমার দেড়শ শিক্ষার্থীর মধ্যেও না। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ তুলনামূলকভাবে তাও বেশ ভালো ইংরেজি রপ্ত করি। বিশেষ করে বলবার ক্ষেত্রে, কীভাবে সূক্ষ্ম স্যাটায়ার যোগ করে, কখনো ভারী বাক্যকে হাসির ছলে সংক্ষেপে বলে দেওয়া। বেশি দুর্বোধ্য ঠেকে পূর্ব এশিয়ার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, এমনকি শিক্ষকদের ইংরেজিকে।
মাঝে মধ্যে ভাবনায় পড়ে যেতাম, ক্লাসে এদের লেকচার শিক্ষার্থীরা বোঝেই বা কীভাবে! তবে যা বলছিলাম, এ নিয়ে এখানকার কারও তেমন মাথাব্যথা নেই। যোগাযোগ হলেই হলো। তুমি যে চেষ্টা করছো, সেটা আসল কথা।
মূল কথা হলো, ছোটবেলা থেকে আমরা যে হীনম্মন্যতায় বড় হই, ইংরেজি ভালোভাবে বলতে না পারার কারণে কিংবা একমাত্র এই ভাষাজ্ঞান দিয়েই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে জাহির করবার যেই বিষয়টা চলমান, সেটা এখানকার স্থানীয়দের মধ্যেই নেই। এমনকি চীন কিংবা কোরিয়ার মানুষদের এখানে দেখেছি, ইংরেজি খুব নির্ভুলভাবে রপ্ত করতে না পারায় তাদের কোনো দ্বিধা নেই। বরং ক্লাসের শুরুতেই কোনো ভণিতা ছাড়া খুব সরলভাবে স্বীকার করে নেয় যে 'ইংরেজি আমার মাতৃভাষা নয়। আমি আমার মাতৃভাষাতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ বোধ করি'। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী, সবার মূল উদ্দেশ্য হলো ক্লাসের পড়া এবং পড়ার যত গবেষণাপত্র সেগুলো ঠিকমতো আয়ত্ত করতে পারছে কি না।
হ্যাঁ, একটা বিষয় তো থাকেই। যদি অধ্যাপকের সঙ্গেই পরিষ্কারভাবে আলোচনা করা না গেল তাহলে কীভাবে হবে? কিংবা এখানে অনেক আলোচনা করতে হয় ক্লাসে। ভালো বলতে না পারলে নিশ্চয়ই কিছুটা খারাপ লাগে। সেজন্যও আমার অনেক আফ্রিকার সহপাঠীদের দেখেছি, শুরুতেই স্বীকারোক্তি করে নিতে যে আমি এখানকার স্থানীয় নই। কারও বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে আবার জিজ্ঞেস করো। কিংবা ই-মেইলে চাইলেই কেউ সেই বিষয়ে প্রশ্ন লিখে পাঠাতে পারে। একজন পূর্ব এশিয়ার অধ্যাপককেও দেখেছি, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন যখন বুঝতে পারছিলেন না, তিনি সরল অভিব্যক্তি নিয়েই বলেছিলেন, তাকে প্রশ্নগুলো লিখে দিতে। শিক্ষার্থীরাও এ নিয়ে কোনো বিদ্রূপ করেনি। যেহেতু অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী থাকেন তাই ক্লাসের পরিবেশটাই থাকে নানা সংস্কৃতির, অনেক বৈচিত্র্যের।
আমার একজন ইতালির শিক্ষক আছেন, যিনি দীর্ঘ সময় এখানেই উচ্চশিক্ষা শেষে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু উনার ইংরেজি ভাষা একান্তই ইতালির স্থানীয়দের মতো। যা আমার মতো দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের থেকেও অনেক আলাদা। মার্কিনীদের কথা না হয় বাদই দিলাম। একদিন ক্লাসে উনি কথায় কথায় বলছিলেন, 'আমি তো এখানকার নই। আমার উচ্চারণ তো এমন হবে। এবং আমি এটা পরিবর্তনও করতে চাই না'। ক্লাসে উনি প্রয়োজনে একই বিষয় বারবার তুলে ধরেন যাতে কোনো শিক্ষার্থীর বুঝতে কোনো সমস্যা না হয়। ই-মেইলে প্রয়োজনীয় প্রতিটি ডকুমেন্ট উনি সিমেস্টারের শুরুতেই পাঠিয়ে রাখেন, যাতে কোথাও কোনো কিছু বাদ না পড়ে যায়। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য এবং কাউন্সেলিং সেন্টারগুলোয় চেষ্টা করা হয় বিভিন্ন ভাষা অন্তর্ভুক্ত করতে, যাতে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী তার নিজ মাতৃভাষায় স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েই সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে পারে।
তাই ভাবছিলাম, আমরা নিজেদের দেশে বসেই ভিন্ন একটি ভাষা রপ্ত করা নিয়ে কত শ্রম ব্যয় করি। একটু ভিন্ন আদলে বলতে শিখলে আমরা কতটা ভিন্ন ভাবি নিজেদের। অবশ্যই এই বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজি এবং তার পাশাপাশি আরও একটি-দুটি ভাষা রপ্ত করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু নিজেদের মাতৃভাষাকে অবশ্যই অবজ্ঞা করে নয়। যে ভাষার এত সুন্দর ইতিহাস আছে, তাকে তো কোনোভাবেই তুচ্ছ করা যায় না। এবং এতে বিশেষত্বও যে কিছু নেই তা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও স্পষ্ট।
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসবার পর প্রথম কয়েক মাস লেগেছিল এখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে 'স্বাভাবিক' যোগাযোগ করতে। সেই ছোটবেলায় ইংরেজি শিক্ষার হাতেখড়ি হলেও একেবারে পশ্চিমে না আসা পর্যন্ত বোঝা সম্ভব হয়নি; স্থানীয়দের উচ্চারণ, ভাষার অর্থ কত ভিন্ন হতে পারে। |
international | মালয়েশিয়ায় নদী থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার | মালয়েশিয়ার সারওয়াক রাজ্যের কুচিংয়ের জালান গম্বিরের ভাসমান মসজিদের পাশের একটি নদী থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নদীতে পড়েই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফান সাদিকের (২১) মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র বেরিতা হারিয়ান প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাদুঙ্গান ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশন (বিবিপি) এবং পিপিডিএ বাটু লিন্টাংয়ের কর্মীরা।
সারাওয়াক ফায়ার অপারেশনস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, সারওয়াক রাজ্যের কুচিংয়ের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন ইরফান। বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে ওয়াটার রেসকিউ টিম (পিপিডিএ) ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ মিটার দূরে তাকে খুঁজে পায়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য সাদিকের মরদেহ স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইরফানের বাড়ি বাংলাদেশে কোথায়, তা এখনো জানা যায়নি।
| মালয়েশিয়ার সারওয়াক রাজ্যের কুচিংয়ের জালান গম্বিরের ভাসমান মসজিদের পাশের একটি নদী থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। |
entertainment | অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের অন্যতম সেরা আতশবাজি উৎসব আজ | নতুন বছরের প্রথম প্রহরে বিশ্বের অন্যতম সেরা আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করেছে অস্ট্রেলিয়া।
সিডনির অপেরা হাউজ ও হারবার ব্রিজকে ঘিরে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ উপভোগ করে এই উৎসব।
এ বছরের উৎসবে ১২ লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবে বলে সিডনি সিটি কাউন্সিল গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
আয়োজকরা জানান, এবার গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রদর্শনী হবে।
নববর্ষের এই আতশবাজি প্রদর্শনের জন্য ৬০ জন ক্রু, ১৮ কনটেইনার সরঞ্জাম, ৬টি বার্জ এবং ৪টি পন্টুন প্রস্তুত করা হয়েছে।
শহরের ৫টি উঁচু ভবনের ছাদ এবং আইকনিক ল্যান্ডমার্ক অপেরা হাউজ ও হারবার ব্রিজ থেকে প্রক্ষেপণ করা হবে আতশবাজি।
এ আয়োজনের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ফরচুনাটো ফোটি বলেছেন, আশা করি সবাই বলবেন যে এটি ছিল সেরা এবং প্রত্যেকে একটি দুর্দান্ত সময় পার করেছে।
সপ্তম প্রজন্মের পাইরোটেকনিশিয়ান ফরচুনাটো ফোটির পরিবার ১৭৯৩ সাল থেকে আতশবাজি তৈরি করে আসছে।
আজ ৩১ ডিসেম্বর রাত ৯টায় এবং মধ্যরাতে প্রদর্শিত আতশবাজির প্রধান থিম থাকবে অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
চিত্রকর জ্যানেল বার্গারের সঙ্গে 'ফার্স্ট নেশনস সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ উই আর ওয়ারিয়র্স' এর তৈরি একটি প্রজেকশনের মাধ্যমে আদিবাসী সংস্কৃতি ও পরিচয় তুলে ধরা হবে।
উই আর ওয়ারিয়র্সের প্রতিষ্ঠাতা নুকি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার যেখানেই যাবেন সেখানেই আদিবাসীদের ভূমি।'
এ বছর উজ্জ্বল সাদা, পিচ, চুন, রূপা, সোনা, বেগুনি, হলুদ, পোড়া কমলা, গোলাপি এবং নীল আতশবাজি থাকবে।
উৎসবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি ভিজ্যুয়াল অ্যানিমেশন সন্ধ্যা জুড়ে হারবার ব্রিজের তোরণগুলোতে প্রজেক্ট করা হবে।
মধ্যরাতের ১২ মিনিটের প্রদর্শনীতে সাপের আকারে বায়বীয় শেল, শনির রিং এবং ঘোড়ার লেজের উইলো শেল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এবারের উৎসবে এক বছরের শেষ এবং অন্য বছরের শুরুকে চিহ্নিত করতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার থিম সংযুক্ত করা হয়েছে, যা আতশবাজি ও মিউজিকের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আজ সিডনি শহরকে আলোকিত করবে ৮ দশমিক ৫ টন আতশবাজি।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| নতুন বছরের প্রথম প্রহরে বিশ্বের অন্যতম সেরা আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করেছে অস্ট্রেলিয়া। |
international | কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সিডনিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ | কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ল্যাকেম্বা ওয়ার মেমোরিয়ালের সামনে দ্য ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস), ম্যাকুয়েরি বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জব্রাউন, ইম্পেরিয়াল কলেজসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কলেজ, ইন্সটিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এ সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষার্থী কে এম ধ্রুব বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম অস্ট্রেলিয়া। এখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চলমান আন্দোলনে যুক্ত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। আমরা আন্দোলনে হতাহতদের চিকিৎসা ব্যয় পাঠিয়ে, অনলাইন প্লাটফর্মে লেখালেখি করে এবং বিদেশি গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আরফিন রাব্বি, রাসেল সিদ্দিক, দিসার আহমেদ, তানজি আক্তার, মুবিন হাসান প্রমুখ।
বক্তারা জানান, 'কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশের সাম্য ও ন্যায়বিচারের দাবির প্রতিফলন। আমরা চাই এই আন্দোলন সফল হোক এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।'
সমাবেশ শেষে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ল্যাকেম্বা ওয়ার মেমোরিয়াল থেকে বিএইচসি মেডিকেল সেন্টার পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন। |
international | জাপানে সর্বজনীন পূজা কমিটি | অবশেষে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দু কমিউনিটিতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। জাপানে নতুন পূজা উদযাপন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পূজা ও মন্দিরের অনুদানের লেনদেনের হিসাব বই না দেখানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে গত দুই বছর ধরে হিন্দু কমিউনিটিতে বিবাদ চলছিল।
এর প্রভাব পড়েছিল গত সরস্বতী পূজায়। আগের পূজাগুলোতে যেসব কর্মীকে সকাল থেকে পূজার মণ্ডপে দেখা যেত, তাদের বেশিরভাগ অনুপস্থিত ছিলেন পূজায়।
অবশেষে চলতি বছরের ১৯ মে পূজা কমিটির সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। সভায় উপস্থিত পূজা কমিটির ৩৩ জন সাবেক সদস্যদের উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কানু গোপাল কুন্ডুকে সভাপতি ও রতন বর্মণকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩০ সদস্যের পূজা কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।
সভায় পূজা কমিটির গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয় এবং সাবেক উপদেষ্টাদের নামে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় করা সব কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জাপান প্রবাসী হিন্দু কমিউনিটি নতুন কমিটির কাছে কমিটির কার্যক্রমের জবাবদিহিতা এবং হিসাব-নিকাশের স্বচ্ছতা প্রত্যাশা করছে।
| অবশেষে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দু কমিউনিটিতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। জাপানে নতুন পূজা উদযাপন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। |
international | আমিরাতের ভিসা: বাংলাদেশিদের ভুয়া সনদ ব্যবহার বন্ধে কঠোর হলো কর্তৃপক্ষ | ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সনদ দেখিয়ে দক্ষ কর্মী ক্যাটাগরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পাওয়ার পথ বন্ধ হলো। মূলত বাংলাদেশিদের ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট ব্যবহার বন্ধে কঠোর হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
২০১২ সালের আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রম ভিসা বন্ধ ঘোষণা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গৃহকর্মী ও পেশাজীবী উচ্চ শিক্ষিত কর্মীদের ভিসা চালু রাখা হয়৷ তবে করোনা পরবর্তী সময় কয়েক বছরে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আমিরাতে এসে কাজের ভিসায় রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় এ সময় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি। এরমধ্যে ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে ৪২ হাজার বাংলাদেশি এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।
তবে জুন মাস থেকে আবারও বাংলাদেশিদের সাধারণ শ্রমিক ভিসা, ভ্রমণে এসে ভিসা পরিবর্তন এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগও বন্ধ করে দেয় আমিরাত সরকার। কেবলমাত্র দুবাই শহরে উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য স্কিল ভিসা চালু রাখা হয়৷ এই সুযোগে অসাধু একটি চক্র অনলাইনে ভুয়া সনদ দাখিল করে ভিসা পাইয়ে দিচ্ছিল৷
এই পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট জমা দিয়ে গত তিন দিন ধরে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না বলে একাধিক বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সির সূত্রে জানা গেছে৷
দুবাই থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রাভেল এজেন্সির ম্যানেজার সোহেল আহমদ জানান, 'গত দুই দিন থেকে সঠিক সার্টিফিকেট অনলাইনে দাখিলের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। সার্টিফিকেট কপি নিয়ে লেবার অ্যান্ড ইমিগ্রেশন দপ্তরে গিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। ভুয়া সনদ দাখিল করে ভিসা আবেদনের কারণেই এমনটা হয়েছে।'
দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, প্রতিদিন কনস্যুলেটে প্রায় ৬০০-৭০০ ভিসা সত্যায়নের আবেদন আসত৷ যার সবগুলো দক্ষ শ্রমিক ভিসা। কিন্তু ভিসা সত্যায়নের সময় শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেগুলো শতভাগই ভুয়া। এমনটা চলতে থাকলে দুবাইয়ে ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স, আইসিটি গ্রাজুয়েটদের ভিসা পাওয়ার সুযোগ হারানোর আশঙ্কা আছে।
আমিরাতের শারজাহ প্রবাসী নাজমুল হক বলেন, 'কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে৷ সার্টিফিকেট নকল করে ভিসার জন্য আবেদন করে অনেকেই ভিসা পেয়েছেন। আমিরাত সরকার এ ব্যাপারে কঠোর হবে, এমনটা অপ্রত্যাশিত ছিল না।'
| ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সনদ দেখিয়ে দক্ষ কর্মী ক্যাটাগরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পাওয়ার পথ বন্ধ হলো। মূলত বাংলাদেশিদের ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট ব্যবহার বন্ধে কঠোর হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। |
international | কুয়ালালামপুরে নির্মাণ স্থাপনা থেকে ২৪ বাংলাদেশি আটক | মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি নির্মাণ স্থাপনা থেকে ২৪ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, আটককৃতদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৭ এবং ভারতের একজন রয়েছেন।
একইসঙ্গে নির্মাণ স্থাপনাটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরের বুকিত কিয়ারা এলাকার কিয়ারা রোডের একটি নির্মাণ স্থাপনায় এ অভিযান চালানো হয়।
শনিবার কুয়ালালামপুর সিটি হল কর্তৃপক্ষ (ডিবিকেএল) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানের সময় কাজ করার সঠিক অনুমোদনপত্র না থাকায় ৩২ জন নির্মাণ শ্রমিককে আটক করা হয়। এ ছাড়াও, এদের অনেকেই ভিন্ন কাজের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে নির্মাণ স্থাপনায় কাজ করছিলেন। এসময় জালাতান ইমিগ্রেশন মালয়েশিয়া এবং পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাদের আটক করে।
নির্মাণ স্থাপনাটির ভেতর এবং বাহিরে পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও নির্মাণ গঠন নিয়েও অভিযান চালানো হয়। এসময় অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণ স্থাপনাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
| মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি নির্মাণ স্থাপনা থেকে ২৪ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। |
international | ভেনিসের প্রবেশ ফি ৫ ইউরো, সমালোচিত মেয়র | ইতালির জলকন্যা ভেনিস পৃথিবীর এক ইউনিক শহর। পানির ওপর ভাসমান এই শহরে জীবনযাপন ব্যাপক ব্যয়বহুল। তবু ভ্রমণ পিয়াসীদের কাছে ভেনিসের আকর্ষণ অনেক ওপরে।
গত ২৫ এপ্রিল ভেনিসের স্থানীয় সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে, অর্থাৎ পর্যটকদের জন্য 'প্রবেশ ফি' নির্ধারণ করেছে। এখন থেকে ১৪ বছরের বেশি বয়সের সব পর্যটককে ভেনিসের প্রবেশ ফি ৫ ইউরো পরিশোধ করতে হবে।
ইউরোপের অনেক মানুষ ভেনিসকে 'শহর' হিসেবে মানতে রাজি নন। তারা ভেনিসকে একটি উন্মুক্ত মিউজিয়াম ভাবতে পছন্দ করেন। তাদের কথা হলো- মিউজিয়ামে যেমন মানুষ যায় খসে পড়া পলেস্তারা-ঐতিহ্য দেখতে, তেমনই ভেনিসে আসে 'ভেনিস' দেখতে। ভেনিসের সবকিছুই দেখার মতো। আস্ত একটা বিস্ময় শহর ভেনিস।
একটি আদর্শ শহরে যা কিছু থাকে তার সবই আছে ভেনিসে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়াম, আদালত, জেলখানা, উপাসনালয়, হাসপাতাল, মিউজিয়াম, অফিস, নগর ভবন, সুপার মার্কেট, শপিং মল ও থানা-পুলিশ সব। হোটেল, মোটেল, বার ও রেস্টুরেন্টও আছে অনেক।
এতকিছু মাথায় নিয়ে ভেনিস দাঁড়িয়ে আছে ভূমধ্যসাগরের পেটের ওপর। এই শহরের অবকাঠামো সত্যিই অবিশ্বাস্য। পানির ওপর ভেসে আছে বড় বড় দালান-কোঠা। জোয়ার হলে তলিয়ে যায় শহর। রাস্তা-ঘাটে হাঁটু পানি জমে। শহরটাকে লতার মতো পেঁচিয়ে আছে ১৭৭টি খাল। প্রায় সাড়ে চারশ ছোট বড় সেতু আছে এই শহরের যোগাযোগ সহজ করতে। আর যানবাহন বলতে শুধু নৌযান। লঞ্চ, নৌকা ও স্টিমার।
আপনি যদি ভেনিসে বসে ট্যাক্সি কল করেন, মুহূর্তের মধ্যে পানি দাপিয়ে ছুটে আসবে স্পিডবোট। পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্সও ওই স্পিডবোটের মধ্যেই। এই শহরে 'প্রাইভেট কার' মানে ডিঙ্গি নৌকা বা ইঞ্জিন লাগানো ট্রলার। ভেনিসের প্রতিটি অলি-গলি দেখার মতো। হাজার বছরের ঐতিহ্য ছড়িয়ে আছে কদমে কদমে। যা কোনোভাবেই দেখে শেষ করা যায় না।
যারা ভেনিসকে মিউজিয়াম ভাবতে পছন্দ করেন, তাদের আরেকটা যুক্তি হলো- পৃথিবীর কোনো বিখ্যাত টুরিস্ট অঞ্চল ঘুমায় না। টুরিস্টদের জন্য ২৪ ঘণ্টা বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে। সেই অর্থে ভেনিসে এরকম কিছুই নেই। অন্য পাঁচটা শহরের মতো রয়েছে বার, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও মোটেল, ইত্যাদি। তা-ও মধ্যরাতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১২টার পর ভেনিসে খাবার খুঁজে পাওয়াও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। একমাত্র ক্যাসিনো ছাড়া ভেনিসে রাত জাগার কোনো বন্দোবস্ত নেই টুরিস্টদের জন্য।
ঘড়ির কাটা ধরে দরজা খোলা-বন্ধ করা, বিস্ময়কর এই পর্যটন নগর নিয়ে এখন চলছে চরম আলোচনা-সমালোচনা। বর্তমান মেয়র ও ডানপন্থী রাজনীতিক লুইজি ব্রুনারো ভেনিসে প্রবেশ ফি (ভেনিস পাস) চালু করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
মেয়র ব্রুনারো বলেন, 'ভেনিসে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ মানুষের আসা-যাওয়া হয়। বিশেষ করে উইকেন্ডে এবং উৎসবের সময়ে এত বেশি ভিড় হয়, প্রশাসনকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। যা ভেনিসের জন্য, পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাছাড়া শহরের মেনটেইন খরচ অনেক বেড়ে যায়।'
২৫ এপ্রিল উদ্বোধনের (ভেনিস পাস) দিনই ভেনিসের অনেক নাগরিক মেয়রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। তারা কোনোভাবেই 'ভেনিস পাস' মানতে রাজি নন। মেয়রের সিদ্ধান্তকে তারা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন।
তাদের মতে এতে পর্যটকদের অধিকার লঙ্ঘন করা হবে। কারণ পৃথিবীর কোনো শহরে 'প্রবেশ ফি' দিতে হয় না। ভেনিসই প্রথম।
ভেনিসের সাবেক মেয়র ও দার্শনিক মাচ্ছিমো কাচ্চারি বর্তমান মেয়র লুইজি ব্রুনারোর কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, 'সে ভেনিসকে ধ্বংস করতে চায়। ভেনিসের প্রতি পর্যটকদের ঘৃণা সৃষ্টি করতে চায়। যা ঐতিহাসিক ভেনিসের ঐতিহ্য নষ্ট করবে, পতন ডেকে আনবে।'
ভেনিসের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী রিটন ঢালি বলেন, 'ঐতিহ্যগতভাবে ইতালির মানুষ অতিথিপরায়ণ। ভেনিসের স্থানীয় মানুষরা পর্যটকদের অতিথির নজরে দেখে। তাদের সম্মান করে। ভেনিসের প্রবেশ ফি তাদের এই ঐতিহ্য নষ্ট করবে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।'
তিনি বলেন, 'ভেনিসের, তথা ইতালির আর্থিক অবস্থা এতটা খারাপ হয়নি যে, একটি পর্যটন শহরে প্রবেশ ফি নির্ধারণ করতে হবে।'
'ভেনিসে যারা থাকেন, সবাই সিটি ট্যাক্স দিয়ে থাকেন। এতেই স্থানীয় সরকারের প্রতিদিন লাখ লাখ ইউরো ইনকাম হয়। তবু কেন প্রবেশ ফি নির্ধারণ করতে হবে', যোগ করেন রিটন।
আগামী বছর ভেনিসের সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শোনা যাচ্ছে, বর্তমান মেয়র আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তিনি অবসরে যাবেন। এর আগে কেন তিনি এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলেন, যা স্থানীয় মানুষকে ব্যাপক ক্ষুব্ধ করেছে। ভেনিসের রাজনৈতিক পাড়ায় এটা নিয়ে ব্যাপক কথা হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে 'ভেনিস পাস' একটা ইস্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
| ইতালির জলকন্যা ভেনিস পৃথিবীর এক ইউনিক শহর। পানির ওপর ভাসমান এই শহরে জীবনযাপন ব্যাপক ব্যয়বহুল। তবু ভ্রমণ পিয়াসীদের কাছে ভেনিসের আকর্ষণ অনেক ওপরে। |
economy | মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের প্রদর্শনীতে নজর কাড়ল বাংলাদেশি পাটপণ্য | মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ১৯তম আসরে বাংলাদেশি পণ্য বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশি পাটপণ্যের প্রতি বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দেখা গেছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী আনোয়ার ইব্রাহীম এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশের প্রদর্শিত পণ্যকে সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেন তারা।
বাংলাদেশের পাট ও পাটের তৈরি পণ্যের প্রতি বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের আমদানিকারকদের আগ্রহ দেখা গেছে। এ নিয়ে তারা প্যাভিলিয়নে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, 'শুরুর দিন থেকেই মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনে দর্শনার্থীর ভিড় বেশি ছিল। বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহ দেখে আমাদেরও উৎসাহও অনেক বেড়ে গেছে।'
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় হালাল বাণিজ্যের পরিমাণও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হালাল বাণিজ্যে মালয়েশিয়ার অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য এবং সে কারণে এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে হালাল সেক্টরের উন্নয়ন তথা মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনে ৪ দিনব্যাপী শুরু হওয়া এ আসর চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। খাদ্য ও পানীয়, মডেস্ট ফ্যাশন, ই-কর্মাস, ইসলামিক ফিন্যান্স ও ফিনটেকসহ মোট ১৩টি ক্লাস্টারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বেশ জমে উঠেছে এ আসর। বিশ্বের ১ হাজার ৪০টি প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৮০০টি বুথের মাধ্যমে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
এই মেলা শুধু আসিয়ান অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এখানে আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন ট্রেড কমিশন, সরকারি সংস্থা, শিল্প ও ব্যবসায়িক নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহযোগিতায় এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ৯টি বুথে মোট ১৬ টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
খাদ্য, পোশাক শিল্প, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইটি ও হস্তশিল্প এসব ক্যাটগরিতে বাংলাদেশ থেকে বোম্বে সুইটস অ্যান্ড কোং লিমিটেড, এগ্রোভার্স লিমিটেড, তাহমিনাস, পিপলস লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ, কেএমআর ক্রাফট, কারুপণ্য, বন্ধন নূরস, অ্যালবাট্রস ফ্যাশন, পশরা লেদার এন্ড জুট, জুটএক্স, বিদোরা ব্যাগ এবং হস্তশিল্প, টেকসলিউশন, প্রিঙ্ক, ত্রিনাস ক্লোসেট, ডাইনাস গ্ল্যামার এবং কল্পতরু তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। মালয়েশিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে আয়োজিত মেলার মধ্যে এটিতেই বড় পরিসরে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।
মেলার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। সে সময় সঙ্গে ছিলেন, মালয়েশিয়া এক্সটারনেল ট্রেড ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশনের পরিচালক এস জয়শংকরসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এ সময় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের জানান, হালাল পণ্যের বাণিজ্য একটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর। বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও হালাল পণ্য বাণিজ্যে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে হালাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, 'সারাবিশ্বে বর্তমানে হালাল বাণিজ্যের পরিমাণ ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার, ২০৩০ সালে বাণিজ্য বেড়ে দাঁড়াবে ৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ যদি এর ১০ শতাংশ বাজার ধরতে পারে তাহলে ৩৬০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ১ শতাংশ ধরলেও ৩৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।'
লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
| মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ১৯তম আসরে বাংলাদেশি পণ্য বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশি পাটপণ্যের প্রতি বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দেখা গেছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। |
entertainment | সিডনিতে ৯ ডিসেম্বর ‘হাসন রাজা উৎসব’ | হাসন রাজার স্মরণে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে 'হাসন রাজা উৎসব।'
আগামী ৯ ডিসেম্বর সিডনির ব্যাংকস টাউনের ব্রায়ান ব্রাউন থিয়েটারে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন দেশের জনপ্রিয় ফোক সংগীত শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও দীপ্তি রাজবংশী। শিল্পী দীপ্তি রাজবংশী বাংলাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর সহধর্মিণী।
এ উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী, সাধক হাসান রাজার উত্তরসূরি ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী শিল্পপতি সোলায়মান আশরাফী দেওয়ান জানান, মনীষী হাসন রাজার আধ্যাত্মিকতা ও মানবিক চেতনাবোধ সর্বব্যাপী। আমাদের এ উৎসবের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা বাঙালিকে তার শেকড়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া এবং এখানে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে তাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।'
উৎসবে সিডনির স্থানীয় শিল্পীরাও অংশ নেবেন বিভিন্ন পর্বে।
হাসন রাজা উৎসবের আয়োজন করেছে 'হাসন রাজা পরিষদ অস্ট্রেলিয়া' ও সহযোগিতায় রয়েছে 'পথ প্রোডাকশন'। টিকিটের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে 'দেশি ইভেন্টস'। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে প্রভাত ফেরী, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ও স্ট্যামফোর্ড এডুকেশন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| হাসন রাজার স্মরণে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে 'হাসন রাজা উৎসব।' |
entertainment | আমিরাতে ফিরছে বাংলা সিনেমা, হবে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল | আমিরাতের হলে বাংলা সিনেমা রিলিজ, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও শুটিংয়ের ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনস।
শুরুতে দেশের সঙ্গে মিল রেখে একইদিনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আমিরাতের মাটিতেও প্রবাসীদের জন্য রিলিজ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের।
গত মঙ্গলবার রাতে দুবাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিখ্যাত জুয়েলারি ডিজাইনার ও বাংলা আর্ট উইক-এর কর্ণধার নীহারিকা মমতাজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে প্রথম বাংলা ছবি পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া মেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও আমিরাতভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ ইখতিয়ার পাভেল ও রেশ রাজ ফিল্মের প্রতিষ্ঠাতা কৃশনান রাজারান।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনের উদ্যোগে ও মিডিয়া মেজ-এর সহযোগিতায় আমিরাতের সিনেপ্লেক্সে আবারো ফিরে আসছে বাংলা সিনেমা। মিতালী পারকিন্সের প্রখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে অমিতাভ রেজা পরিচালিত 'রিক্সা গার্ল' প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুনভাবে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর। ইবনে বতুতা মলে নভো সিনেমা ও দেরা সিটি সেন্টারের ভক্স সিনেমায় দেখা যাবে সিনেমাটি। টিকিট পাওয়া যাবে ভেন্যুতে।
নীহারিকা মমতাজ জানান, বাংলা আর্ট ও কালচারকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া তার স্বপ্ন এবং কেবল বাংলা ছবি পরিবেশনার মাঝেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে না। তিনি ভবিষ্যতে দুবাইয়ে বার্ষিক বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ফিল্মফেয়ারের মতো আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কার অনুষ্ঠান ও ছবির শুটিংয়ের আয়োজন করতে আগ্রহী।
এর আগে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দুবাইভিত্তিক মিডিয়া মেজ ও কানাডাভিত্তিক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর মাধ্যমে আমিরাতের সিনেপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছিল পরবাসিনী, নবাব, ঢাকা অ্যাটাক, দেবীর মতো হিট বাংলা ছবি। এরপর আর আসেনি বাংলা সিনেমা।
মিডিয়া মেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ ইখতিয়ার পাভেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমিরাতে তথা মধ্যপ্রাচ্যে বাংলা ছবির প্রদর্শন নিঃসন্দেহে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এক নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। যদিও বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান যা আমেরিকা, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় ছবি পরিবেশনের ক্ষেত্রে নেই। এসব বাধা দূর করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ও এজন্য বাংলাদেশের পরিচালক-প্রযোজকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
| আমিরাতের হলে বাংলা সিনেমা রিলিজ, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও শুটিংয়ের ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনস। |
education | জীবনের জন্য পড়াশোনা, পড়াশোনার জন্য জীবন নয় | সময়টা এখন শরতের মৃদুমন্দ বাতাসের। হাঁটতে বেরুলে রঙিন সব পাতা পড়ে থাকে পায়ের নিচে। আবহাওয়াটা বেশ শান্ত হলেও পড়াশোনার গতি বিপরীত। কেন না এখন সিমেস্টারের সব চাইতে 'পিক আওয়ার'। কোর্স ওয়ার্ক ছাড়াও বেশ চিন্তিত ছিলাম নিজের থিসিস নিয়ে। এখানে গবেষণা মানেই শ খানা গবেষণা আর্টিকেল, নিখুঁতভাবে সব কিছু উপস্থাপন আর অধ্যাপকদের সঙ্গে কয়েকখানা মিটিং।
তারও আগে প্রফেসরদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিজের থিসিস কমিটি নিজেকেই ঠিক করে বিভাগে জমা দিতে হয়। সব মিলিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। এমনকি মনে হচ্ছিল থিসিস আসলেই করব কি না।
তবে এখানে যে বিষয়টি একদমই আলাদা তা হলো অধ্যাপকদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা। আমি যতবারই আমার প্রফেসরদের সঙ্গে মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনায় গিয়েছি ততবারই মনে হয়েছে, এমন মানুষের সঙ্গে কাজ করাটা আমার জন্যই ইতিবাচক হবে। আমি যতবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, আমার অধ্যাপকেরা ততবারই অভয় দিয়েছেন। শুনেছি, 'জীবনের জন্য পড়াশোনা, পড়াশোনার আগে তোমার ব্যক্তিগত জীবন নয়', 'না হয় সময় বেশিই লাগবে তোমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে, তাতে তুমি নিশ্চয়ই খারাপ শিক্ষার্থী হয়ে যাবে না'। আমি তো ভিন্ন মহাদেশের মানুষ। আমার দেখার এবং পরিমাপের দৃষ্টিভঙ্গি তো গড়ে উঠেছে ভিন্ন আদলে!
সেখানে ছোটবেলা থেকেই ভালো রেজাল্ট বা ফল দিয়ে যেভাবে পুরো শিক্ষার পরিবেশটাকে একটা গণ্ডিতে রেখে দেওয়া হয় সেটা তো আমার মধ্যে এখনো কমবেশি কাজ করে। আমরা তো শিখেছি পড়া মনে রাখা কিংবা মুখস্থ করা, কিন্তু কোনো কিছুকে বারবার প্রশ্ন করে নতুন আদলে গড়ে তুলতে শিখিনি। বড়বেলাতেও নয়।
এখানে মুখস্থ ব্যপারটাই নেই! কোনো কোনো বিভাগে পরীক্ষাও নেই। অনেকেই শুনে মনে করতে পারেন, বেশ বাঁচা গেল! বিষয়টা তেমনও নয়। পরীক্ষা না থাকলেও আপনাকে দিনের পড়া দিনেই শেষ করতে হবে। প্রতিটা ক্লাসে এই সিলেবাসের ওপর আলোচনা করতে হবে। আপনি যত ইচ্ছা অধ্যাপককে প্রশ্ন করতে পারবেন। যত প্রশ্ন করবেন তার ওপর আপনার গ্রেডিং বা নম্বর নির্ধারিত হয়। তাই বলে কাউকে ছোট করবার উদ্দেশ্যে কিংবা 'আজব' কোনো প্রশ্ন অবশ্যই নয়। যে প্রশ্নই আপনি করবেন তার আগে কনটেক্সট আপনাকে আলোচনা করে নিতে হবে।
আমি নিজে যে কয়েকটি ফাইনাল পরীক্ষায় বসেছি, সবগুলোই ছিল ওপেনবুক। আপনি বই, প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়াল পাশে নিয়েই বসতে পারবেন। আপনি চাইলেই ইন্টারনেট থেকে সব তথ্য খুঁজে নেবেন, তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু আপনি আসলেই চিন্তা করছেন কি না, একজন গবেষক হিসেবে নতুন কোনো উদ্ভাবন বা বিষয় নিয়ে ভাবছেন কি না, তার উপস্থাপন করতে হবে পরীক্ষার খাতায়। এখানে প্রশ্নও করা হয় সেই আদলেই।
আরেকটি বিষয় যা আসলেই ভালো লাগে তা হলো এখানে গ্রেডিং বা নম্বর নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। কে কত গ্রেড পেল এটা কেউ জিজ্ঞেস করে না, জিজ্ঞেস করাটাই এখানে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। এখানে শুধু দেখা হয় আপনি বছর শেষে কয়টি কনফারেন্স, সিম্পোজিয়ামে অংশ নিলেন, কয়টি গবেষণা করলেন। আমার নিজেরই অভিজ্ঞতা আছে, পরিসংখ্যানের এক পরীক্ষায় গিয়ে উত্তর না করে চলে আসবার। কারণটা ছিল, এখানকার প্রযুক্তিগত এত সংযোজন বুঝতে না পারা। কেন না, এখানে নিত্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রায়শই সেগুলোর পরিবর্তন করা হয়। আমি এক সপ্তাহ পর প্রফেসরকে গিয়ে বলায় উনি জিজ্ঞেস করলেন, আমি আসলেই সত্যি বলছি কি না! এরপর সেই একই প্রশ্নে আমাকে আবারও পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিলেন। অবশ্যই তার উত্তর আমাকে প্রফেসরের সামনে বসেই করতে হয়েছে। কিন্তু একজন অধ্যাপক হিসেবে আমার মতো এক ভিন দেশের শিক্ষার্থীকে যে উনি অভয় দিয়ে আবারও সুযোগ দিলেন, এ ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে আমি আগে কখনো পরিচিত ছিলাম না! কারণ এখানে সব কিছুর ঊর্ধ্বে গুরুত্ব দেওয়া হয়, শেখা এবং চিন্তার ওপর। আপনি প্রকৃত অর্থেই কতটুকু শিখতে পারছেন এবং তা ভবিষ্যতে প্রয়োগ করতে পারছেন দেশের জন্য, এটাই এখানে মুখ্য।
এখানে শিশুদের দেখিনি স্কুল থেকে ফিরে ভারি ব্যাগ নিয়ে কোচিং সেন্টারে দৌড়াতে। সব বাচ্চাই নির্ভারভাবে বিভিন্ন খেলাধুলা আর লাইফ স্কিলস শিখছে এই বয়স থেকেই। সাঁতার, সাইক্লিং, জুডো, স্কেটিং, ব্যালে কত কিছু করতে দেখি! শিশুদের মা-বাবাদেরও এত চিন্তিত থাকতে দেখিনি কোচিং, পরীক্ষার ফল, প্রতিযোগিতা নিয়ে। শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের সব রকম পরিবেশই এখানে আছে।
তাই প্রতিটি বেলায়ই ভাবি, শেখার আসলে কোন শেষ নেই!
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| সময়টা এখন শরতের মৃদুমন্দ বাতাসের। হাঁটতে বেরুলে রঙিন সব পাতা পড়ে থাকে পায়ের নিচে। আবহাওয়াটা বেশ শান্ত হলেও পড়াশোনার গতি বিপরীত। কেন না এখন সিমেস্টারের সব চাইতে 'পিক আওয়ার'। কোর্স ওয়ার্ক ছাড়াও বেশ চিন্তিত ছিলাম নিজের থিসিস নিয়ে। এখানে গবেষণা মানেই শ খানা গবেষণা আর্টিকেল, নিখুঁতভাবে সব কিছু উপস্থাপন আর অধ্যাপকদের সঙ্গে কয়েকখানা মিটিং। |
state | কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে পৃথক ২ সমাবেশ | কবি তারাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
লালন পরিষদ ইউএসএর আয়োজনে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজা ও রাত সাড়ে ৮টায় জ্যামাইকায় স্টার কাবাবের সামনে পৃথক দুটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য প্রবাসী অংশ নেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভেতরবন্দ ইউনিয়নের গোদ্দারেরপাড় এলাকার নিজ বাড়িতে কবি রাধাপদ রায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
নিউইয়র্কের সমাবেশে বক্তারা বলেন, কবি রাধাপদ রায় মানবতার কথা বলেন, আধ্যাত্মিকতা চর্চা করেন। তাঁর ওপর হামলা কেন? বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিকে বুকে ধারণ করেন, এটি তার অপরাধ?
তারা বলেন, 'এই হামলা কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হয়নি, হয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর। এটিই যেন শেষ হামলার ঘটনা হয়ে থাকে।'
লালন পরিষদের সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সংস্কৃতিজন গোপাল স্যানালের সঞ্চালনায় ডাইভারসিটির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্যাহ, কবি বেলাল বেগ, মুক্তিযোদ্ধা-শিল্পী তাজুল ইমাম, সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী, রাজনীতিবিদ নুরুল আমিন বাবু, অভিনেতা-নির্দেশক খায়রুল আলম পাখি, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মনিকা রায়, সাংবাদিক সাহাব উদ্দিন সাগর, সাংস্কৃতিক সংগঠক আসলাম খান প্রমুখ।
হামলায় ক্ষতবিক্ষত রাধাপদ রায়ের পিঠের ছবি এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন সমাবেশ অংশগ্রহণকারীরা।
জ্যামাইকার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্র নাথ রায়, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোরশেদ আলম প্রমুখ।
উভয় সমাবেশে বক্তারা রাধাপদ রায়ের ওপর হামলাকারী সব আসামিকেও গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম তার বক্তৃতায় আহত রাধাপদ রায়ের চিকিৎসার জন্য সহায়তা তহবিলে সবার অংশগ্রহণ কামনা করেন।
| কবি তারাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। |
international | মালয়েশিয়ায় শবে কদরের রাতে সূরাও বায়তুল মোকাররামে প্রবাসীদের নামাজ আদায় | পবিত্র শবে কদরের রাতে সূরাও বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ প্রবাসীরা।
শনিবার রাতে সূরাও বায়তুল মোকাররামে এশার নামাজ শেষে তারাবি নামাজের আগে ধর্মীয় বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইবাদত। অন্যান্য দিনের তুলনায় সূরাওয়ে প্রবাসীদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য।
অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন নামাজ আদায় করতে। নামাজে আগত প্রবাসীরা বলেন, আজকে একটি পবিত্র রাত। নামাজ আদায় করতে এসে ভালো লাগছে।
সূরাও বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফিজ মাওলানা ইকরামুল হক বলেন, 'এ রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি বান্দার অতীতের সব পাপ ক্ষমা করে দিবেন।'
নামাজ শেষে মুসল্লিরা দোয়ায় অংশ নেন। নিজ পরিবার, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চেয়ে চোখের পানি ফেলে মনের আকুতি নিবেদন করেন মহান রবের কাছে।
আল কুরআনে আল্লাহ লাইলাতুল কদরকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। এ জন্য পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত করে থাকেন।
পবিত্র রমজানে লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। তাই আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।
মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র এই শবে কদরের রজনী কাটাবেন।
| পবিত্র শবে কদরের রাতে সূরাও বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ প্রবাসীরা। |
international | দুবাইয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা | শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আমিরাতের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনস্যুল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন। এ সময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বাংলাদেশ বিমান, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল-দুবাই, বাংলাদেশ সমিতি দুবাই, বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ দুবাই, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শারজাহ, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই, ডিপ্লোমেটিক লেডিস গ্রুপসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ৬০টি সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
| শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। |
education | শিক্ষকতায় আনন্দ-বৈচিত্র্য | খুব ছোটবেলা থেকেই চাইতাম, শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ, গবেষণা নিয়ে আলোচনায় থাকবার। শিক্ষকদের বুকশেলফে রাখা সারি সারি বই আমাকে টানতো।
নিজে শিক্ষক পরিবারের না হলেও আমার বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। তাই বেড়ে উঠবার জন্য বই, লেখালেখি, চিন্তাভাবনার একটা পরিবেশ সব সময়েই ছিল ঘরে। অনেক বান্ধবীদের মাতা-পিতাকে দেখেছি, বেশ বড় চাকরি করেন, উচ্চশিক্ষিতও বটে। কিন্তু মেয়ে সন্তানকে 'মেয়ে সন্তান' হিসেবেই দেখতেন, একজন সন্তান হিসেবে দেখতেন না। আমি গর্বিত আমার মাতা-পিতা এতটা উচ্চশিক্ষিত না হলেও তারা স্বশিক্ষিত এবং উদার মনের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র বছরগুলোয় যখন গবেষণার কেবলমাত্র হাতেখড়ি, তখন থেকেই ঘণ্টার পড় ঘণ্টা গবেষণা প্রবন্ধ, জার্নাল আর্টিকেল পড়ার মধ্যে আমার আনন্দ কাজ করতো। আমি নিজেকে খুঁজে পেতাম এসব পাতায় মুখ ডুবিয়ে। তখন থেকেই প্রার্থনা করতাম, এই পরিবেশেই যাতে বিশ্ববিদ্যালয় শেষেও আমি থাকতে পারি।
আশপাশের অনেকেই ঠাট্টা করতো, যে কাজ মানুষের বিরক্ত লাগে সে কাজে আমার মধ্যে কেন এত ভালো লাগা তৈরি করবে? বা এখনো শুনি, দেশের শিক্ষকতা এমন কী! একটা সময় খারাপ লাগলেও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য এসে সেই খারাপ লাগা বোধটাও চলে গেছে। এখানে কেউ কারও পরিচিতি নিয়ে দ্বিধাবোধ করে না। যে পড়তে ভালবাসে সে নির্বিকারে স্বীকার করে, সে দিনের কত ঘণ্টা এর পিছে ব্যয় করল। আবার যে খেলাধুলা করতে পছন্দ করে, সেও সরল স্বীকারোক্তি করে কতটা সময় ব্যয় করল তার পছন্দের কাজে। আজকাল প্রায়ই দেখি, পড়াশোনা করা বিষয়টাকে উপহাস বা ব্যঙ্গার্থকভাবে দেখা হয়। এর পেছেনে যে সমাজের রাজনৈতিক-অর্থনীতি কাজ করে তা বুঝতে বাকি কোথায়!
আসলে সবার যা বিরক্ত লাগে আমারও সেই একই বিষয় কেন বিরক্ত লাগতে হবে? বৈচিত্র্য নিয়েই তো জগত বেঁচে থাকে। একজন ভালো গবেষক বা যে কোনো কাজেই সর্বোচ্চ পেতে হলে ঠিক একই পরিমাণ দিতেও হয়। সেটা ক্যারিয়ারের যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই সত্য। এখানে আমাদের বিভাগের প্রধান ড. লিমপেরোস বলেন, 'সাফল্যের তো কোনো সহজ উপায় নেই!'
দেশে শুধু শিক্ষকতা না, পুরো কাঠামোই একই গতিতে চলছে, সেখানে আমাদের যার যার নিজের যে শ্রমসাধ্য গবেষণা তা ফেলনা নয়। ফেলনা হলে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বহির্বিশ্বের অধ্যাপকদের সামনে আমিই উপস্থাপন করতে পারতাম না। আমার গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন আছে বিধায়ই আমি এখানকার অধ্যাপকদের কাছেও প্রশংসা পাই; যে আগামী উচ্চশিক্ষার জন্য তুমি যথেষ্ট উপযুক্ত, বা অন্যদের থেকেও বেশ ভালো। এমন একটা পরিবেশে অন্তর্ভুক্ত না হলে হয়তো এতদিনের এত পাবলিকেশন, এত আগ্রহ আমার গড়ে উঠত না।
অনেকেই বলে শিক্ষকতা একঘেয়ে, এখানকার অধ্যাপকদের লাইফস্টাইল কিংবা দেশের কয়েকজন শিক্ষকে দেখেও আমার তা মনে হয়নি। বরং সকাল ৮টা-৫টা অফিস, অন্যের প্রোফিটের জন্য কাজ করাটা আমার একঘেয়ে লেগেছে। সেখানে আমার গবেষণা আমারই সৃষ্টি। কারও কোনো দাবি নেই! আমারও মনে হয়েছে, যে কাজে সৃষ্টিশীলতা নেই, তাই তো বরঞ্চ একঘেয়ে। উল্টো মনে হয়েছে, যারা এমনটি বলেন তাদের স্যাম্পল, দৃষ্টিসীমা খুব সীমিত।
দিন শেষে, যার যে বিষয় ভালো লাগে তাই জীবিকা হিসেবে পেয়ে, নিজেকে গড়ে তোলাই নতুনত্ব!
| খুব ছোটবেলা থেকেই চাইতাম, শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ, গবেষণা নিয়ে আলোচনায় থাকবার। শিক্ষকদের বুকশেলফে রাখা সারি সারি বই আমাকে টানতো। |
international | মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের ‘মেহমানখানা’ | ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে ইহুদী সেনাদের দ্বারা গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনিরা মারাত্মক আহত বা বিভিন্ন কারণে জন্মভূমি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
বিভিন্ন দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি এই অসহায় ফিলিস্তিনিদের আহারে সহযোগিতার জন্য রাজধানী কায়রোসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে খোলা হয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক 'মেহমানখানা'।
মিশরের এনজিও সংস্থা ইজিপশিয়ান ইয়ুথ কাউন্সিলের সহযোগিতায় আমেরিকা-ভিত্তিক বাংলাদেশের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন (এএসএইচএফ) আয়োজন করেছে এই মেহমানখানার।
গত শুক্রবার গিজা শহরের 'জাজিরাতুল অররা' এলাকার একটি মেহমানখানায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক শত নারী ও শিশু ফিলিস্তিনি শরণার্থীর জন্য নীল নদের মাছ দিয়ে রান্না হচ্ছে মিশরীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার 'সামাক সাইয়ীদিয়াত'। এর সঙ্গে আছে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, ফলমূল ও কোমল পানীয়।
বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি কিছু শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে নিয়ে নিজ হাতে এসব খাবার তৈরি করছেন এএসএইচএফ'র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
এসময় উপস্থিত গাজার অসহায় শরণার্থীরা আয়োজক সংস্থা এএসএইচএফকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের মর্মান্তিক দুর্দশার কথাও তুলে ধরেন। বিশেষ করে নিজেদের ঘনিষ্ঠ স্বজন হারানোর পর যে দুয়েকজন স্বজন এখনো জীবিত আছেন বলে তারা জেনেছেন, তাদের মিশরে আনার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে আন্তরিক অনুরোধ করেন মিশর সরকারসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে।
মায়ের সঙ্গে মেহমানখানায় আসা মায়াবী চেহারার আট বছরের শিশু তা'লা ও পাঁচ বছরের সিলার পিতাকে তাদের কাছে এনে দেওয়ার আকুতি করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, 'গাজাবাসীর জন্য এএসএইচএফ ফাউন্ডেশনের রেডক্রসের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধাবস্থার প্রথম থেকেই কায়রো থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে সরাসরি গাজায় জরুরি খাবার সামগ্রীর পাশাপাশি কাফনের কাপড়, স্যানিটারি ন্যাপকিন পাঠানোর বিষয়গুলো ইতোমধ্যে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আমরা এবার রাজধানী কায়রোসহ বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য মেহমানখানার ব্যবস্থা করেছি।'
তিনি বলেন, 'চট্টগ্রামে করোনাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত চলমান মেহমানখানার একটি শাখা নিয়ে মিশরে এসেছি নির্যাতিত অসহায় গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে। মেহমানখানায় খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি অসহায় পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ ফুড প্যাকেজ বিতরণ কর্মসূচিও চলছে।'
নাছির উদ্দিন বলেন, 'গাজার অসহায় বাচ্চাদের জন্য এএসএইচএফের উদ্যোগে একটি এতিমখানা তৈরির কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। গাঁজা থেকে মিশরে আসা শরণার্থী শিশুদের থেকে ১০০ এতিম শিশুকে বাংলাদেশে নিয়ে শামসুল হক ফাউন্ডেশনের এতিমখানায় পালন করতে চাই।'
প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, 'এ বিষয়ে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করলে মিশরে অবস্থানরত গাজার এতিম শিশুদের বাংলাদেশে নিয়ে লালন-পালন করা সম্ভব। এ বিষয়ে এএসএইচএফ মাঠপর্যায়ের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে।'
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলের হামলায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় হাজার হাজার নারী ও শিশু শরণার্থী হয়ে মিশরে প্রবেশ করেন।
| ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে ইহুদী সেনাদের দ্বারা গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনিরা মারাত্মক আহত বা বিভিন্ন কারণে জন্মভূমি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। |
education | বিদেশে ডর্ম বা বাসা ভাড়া: যা জানা প্রয়োজন | যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার আগে যে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে একটি হলো, এখানে থাকার জায়গা নির্ধারণ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই যদি বলি, যে জায়গায় আগে কখনো যাইনি, দেখিনি, সেখানে দীর্ঘ একটা সময় থাকার জন্য বাসা ঠিক করাটা অনিশ্চিতই ছিল।
আর যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপার্টমেন্ট বা বাসা, যেটাই ঠিক করা হোক না কেন, লিজ বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে বাসায় কোনো ঝামেলা হলে এই লিজ চুক্তি এক বছর কিংবা ছয় মাসের আগে শেষ করা যায় না। অর্থাৎ, আপনাকে এই পুরোটা সময় এখানেই থাকতে হবে কিংবা না থাকলেও এর ভাড়াটা ঠিকই পরিশোধ করতে হবে।
তাই আন্তর্জাতিক যেসব শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে পড়তে যান, এ বিষয়গুলো খুব ভালো করে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিজের চরিত্রগুলোর মতো নতুন আসবাব, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিজেকেই বহন করে নিতে হয়, পরিচিত কেউ থাকলে না-হয় ভিন্ন কথা।
এত কিছুর পরও যখন থাকার জায়গাটা শান্তির হয় না, তখন বিষয়টি পড়ালেখাসহ মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। তাই প্রথম থেকেই লিজ নেওয়া বাসাটির অবস্থান, পরিবেশ ভালো করে যাচাই করে নেওয়া চাই। সন্ধ্যার পর কতটা নিরাপদ, আশপাশে প্রয়োজনীয় দোকানপাট, ফার্মেসি আছে কি না, ক্যাম্পাস থেকে কতটুকু দূরত্বে, বাস-মেট্রো থাকলেও কতটা কাছে, এগুলো পরিকল্পনায় রাখা চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্টেটে বছরের প্রায় পুরো সময়েই বৃষ্টি লেগে থাকে, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য যানবাহন ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসের বাসের রুটগুলো দেখে নিলে প্রথম দিকে সুবিধা হয়। এমনও হয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য ক্লাসে যাওয়া হয়নি। কিংবা আবহাওয়া ফোরকাস্টে বৃষ্টি দেখাচ্ছিল বলে ঠিক সময়ে বাস ধরে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে হয়েছে।
এরপর অবশ্যই যে বিষয়টি আসে তা হলো, অ্যাপার্টমেন্ট মেট। প্রবাসে নিজের স্বাতন্ত্র্য এবং স্বাধীনতাকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারপরও একই ডর্মে যার সঙ্গে থাকবেন, তার কালচার বা সংস্কৃতি, ফুড হ্যাবিট, এই ছোটখাটো বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ। আমার অনেক সহপাঠীকে দেখেছি, অপরের রান্নার কারণে বিব্রতবোধ করতে। কেননা বিষয়টি খুব সামান্য হলেও একেক দেশে প্রচলিত খাবার ও মশলায় ভিন্নতা রয়েছে।
আমার আমেরিকান ডর্মমেট কখনোই আমাদের দেশীয় মশলার ঘ্রাণ সয়ে নিতে পারেনি। আর এখানকার কিচেন বা রান্নাঘর ব্যবস্থাও আলাদা। আবার অনেক সময় এমনটাও হয়, ডর্মমেট হয়ত ভিন্ন দেশের, ভিন্ন সংস্কৃতির এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ডর্মের মানুষদের সঙ্গেই একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়।
এদিক থেকে বলা যায়, আমার জাপানিজ ডর্মমেটের প্রসঙ্গে। শুকনো ঘাসফড়িঙ বা পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট কিনে ফ্রিজে রাখলেও আমাদের এ নিয়ে কখনো সমস্যা হয়নি। প্রয়োজনের সময়, যেমন: অসুখ কিংবা কোনো সহযোগিতায় কাছের মানুষ এই ডর্ম বা অ্যাপার্টমেন্ট মেটরাই। তাই বাসা নেওয়ার সময় অ্যাপার্টমেন্ট মেটের সঙ্গে পারলে পরিচিত হয়ে কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন।
আরেকটি বিষয় হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাসা ভাড়া নেওয়ার লিজের সময় থাকে এক বছরের। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই লিজের সময় ছয় মাসের হয়ে থাকে। যেহেতু এখানে লিজ পলিসি খুবই কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়, তাই নতুন এক জায়গায় স্বল্প সময়ের লিজ নেওয়াটাই সুবিধাজনক। বাসায় অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো, যেমন: ইন্টারনেট সংযোগ, ফায়ার অ্যালার্ম সার্ভিস থেকে শুরু করে ইমার্জেন্সি ফিক্সিট, পার্কিং ব্যবস্থা, ইউটিলিটি বিল এগুলো নিয়েও আগেই কথা বলে নেওয়া ভালো।
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার আগে যে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে একটি হলো, এখানে থাকার জায়গা নির্ধারণ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই যদি বলি, যে জায়গায় আগে কখনো যাইনি, দেখিনি, সেখানে দীর্ঘ একটা সময় থাকার জন্য বাসা ঠিক করাটা অনিশ্চিতই ছিল। |
international | ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ৬ প্রধানমন্ত্রীর | অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, টনি অ্যাবট, ম্যালকম টার্নবুল, স্কট মরিসন, কেভিন রুড এবং জুলিয়া গিলার্ড এক খোলা চিঠিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে তারা বলেন, ইসরায়েলকে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে অনুরোধ করছি এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি। চিঠিতে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছাতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অস্ট্রেলিয়ানদের স্থায়ী সমর্থন পুনরায় নিশ্চিত করছি।
ছয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি ও ফিলিস্তিনি উভয় সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে এখানে বিভাজন সৃষ্টি করতে দেওয়ার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি এবং ফিলিস্তিনি উভয় সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তারা বলেন, আমরা এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ান ইহুদিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং আমরা অস্ট্রেলিয়ান ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের পাশে আছি, যাদের পরিবার এই ভয়ানক সংঘাতে মারা যাচ্ছে এবং কষ্ট পাচ্ছে। তারাও আমাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।
আমাদের বহু-সাংস্কৃতিক জাতির সাফল্য অস্ট্রেলিয়ান মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা আমরা সবাই শেয়ার করি এবং আমাদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের বৈচিত্র্যের জন্য আমরা সবাইকে সম্মান দেখাই বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা বলেছেন যে, আমাদের উচিত বিদেশি বিরোধগুলো অস্ট্রেলিয়ানদের একে অপরের বিরুদ্ধে পরিণত করতে না দেওয়া।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রতিটি বেসামরিক জীবন মূল্যবান, তা সে ইসরায়েলি বা ফিলিস্তিনি যেই হোক না কেন। প্রতিটি নিরপরাধ প্রাণহানি একটি ট্র্যাজেডি।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, টনি অ্যাবট, ম্যালকম টার্নবুল, স্কট মরিসন, কেভিন রুড এবং জুলিয়া গিলার্ড এক খোলা চিঠিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন। |
international | আবুধাবিতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু | সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মুহাম্মদ মোক্তার হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আরব সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তালুকদার।
নিহত মোক্তার হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানায়। সে পরিবার-পরিজন নিয়ে আবুধাবিতে বসবাস করতেন। মোক্তারের সঙ্গে থাকা অপর দুই বন্ধু মারাত্মক আহত হয়ে আবুধাবির শেখ খলিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত এই দুই ব্যক্তির নাম জুবায়ের ও মোহাম্মদ নবী হোসেন। তাদের বাড়িও কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে।
জানা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সাগরে মাছ ধরতে গেলে আরব সাগরে স্পিডবোটের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে সাহায্যের জন্যে আরেকটি স্পিডবোট এসে দড়ি দিয়ে টেনে নেওয়ার সময় দড়ি ছিঁড়ে গেলে একটির সঙ্গে অন্যটি সজোরে ধাক্কা লেগে মোক্তার হোসেনের স্পিডবোট উল্টে যায়। এসময় অপর দুই বন্ধু সাঁতার কেটে তীরে আসতে সক্ষম হলেও মারা যান মোক্তার।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মোতাহেরসহ আহতরা স্থানীয় আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য।
| সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মুহাম্মদ মোক্তার হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। |
education | আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু | বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে অসমাপ্ত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা।
আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা জনতা ব্যাংকের দুবাই শাখায় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি ও এইচএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন।
গতকাল শুক্রবার দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখিত ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনে ভর্তির আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখিত ভর্তি ফি (এসএসসি প্রথম বর্ষ ৫১৫ দিরহাম এবং এইচএসসি প্রথম বর্ষ ৬৬০ দিরহাম) জনতা ব্যাংক দুবাই শাখায় জমা দেবেন। জমা দিয়ে রশিদের মূল কপি এবং সম্পন্নকৃত অনলাইন ভর্তি আবেদনের হার্ড কপি কনস্যুলেটের শিক্ষা উইংয়ে জমা দেবেন।
এই সুযোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রবাসীরা। দুবাই প্রবাসী ইমাম হোসেন বলেন, 'আমাদের দেশের যারা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশই আছেন যারা নানা প্রতিকূলতার কারণে এন্ট্রান্স লেভেল বা মিনিমাম এসএসসি পাস করতে পারেননি। তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক পরীক্ষায় ফেল করেছেন বা পরীক্ষাই দিতে পারেননি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশিরা অন্যান্য দেশের মানুষের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধায় অনেক এগিয়ে যেতে পারবে।'
আজমানের শামছুল আলম মানিক বলেন, 'অসমাপ্ত পড়ালেখা সমাপ্ত করার এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি থেকে বলছি- এই উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক।'
| বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে অসমাপ্ত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। |
international | ইসরায়েলের সমালোচনা করায় অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিক বরখাস্ত | সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের সমালোচনা করে পোস্ট দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি থেকে সাংবাদিক আন্তোয়েনেট লাট্টুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এবিসি থেকে বলা হয়েছে যে, লাট্টুফ তার ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এইচআরডব্লিউ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে সংস্থাটি দাবি করেছে, ইসরায়েল গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের খাদ্য, পানি এবং জ্বালানি সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।
এবিসি ম্যানেজমেন্ট লাট্টুফকে 'বিতর্কিত বিষয়' শেয়ার না করার জন্য বলার পরও তিনি এ কাজটি করেছেন বলে এবিসি অভিযোগ করেছে।
লাট্টুফ এবিসির সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে লিখেছেন, তিনি মনে করছেন তার বরখাস্ত বেআইনি।
তিনি লিখেছেন, 'এটি সাংবাদিকতা ও স্বাধীন চিন্তার জন্য অশনি সংকেত।'
সাংবাদিক আন্তোয়েনেট লাট্টুফ এবিসি ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শুনানির সময় লাট্টুফ অভিযোগ করেন যে তাকে কেবল তার রাজনৈতিক মতামতের জন্যই নয়, তার জাতি এবং তার লেবানিজ-অস্ট্রেলিয়ান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্যও বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রথম শুনানির পর তিনি বলেছেন, 'যতক্ষণ লাগে লড়াই করার জন্য আমি প্রস্তুত।'
এবিসি দাবি করেছে, লাট্টুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে কারণ তিনি বিতর্কের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট না করার নির্দেশ মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এবিসি লাট্টুফকে বরখাস্ত করার আগে উচ্চ পর্যায় থেকে চাপে ছিল। ইসরায়েলের আইনজীবীদের একটি গ্রুপ লাট্টুফকে বরখাস্ত করার দাবি করেছিল।'
তবে এবিসি বলেছে, 'লাট্টুফকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বাইরের চাপ কোনো ভূমিকা পালন করেনি।'
তাসমানিয়ায় একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ বিষয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তিনি এবিসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করবেন না।
'এগুলো এবিসির বিষয় এবং এবিসি সরকার থেকে আলাদা একটি স্বাধীন সংস্থা', বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'এটি অবশ্যই জনসাধারণের মালিকানাধীন। তবে আমি মন্তব্য করে কোনো সমস্যা তৈরি করতে চাই না, যা এবিসিকে নির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা মনে হতে পারে।'
এবিসি জানিয়েছে, লাট্টুফ একটি স্বল্পমেয়াদী চুক্তিতে নিযুক্ত ছিলেন।
এবিসি আরও বলেছে, লাট্টুফকে তার শিফটের জন্য অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের সমালোচনা করে পোস্ট দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি থেকে সাংবাদিক আন্তোয়েনেট লাট্টুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। |
international | কুয়ালালামপুরে ৮ বাংলাদেশিসহ ৪৬ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার | মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি শপিং মল থেকে বাংলাদেশিসহ ৪৬ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আজ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শহরের বুকিত বিনতাংয়ের জালান ইম্বির পাশে একটি শপিং মলের একাধিক দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৪ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৮ জন বাংলাদেশি, ভারতের ১০ জন, মিয়ানমারের ১৬ জন এবং ৮ জন পাকিস্তানের।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) জাফরি এমবোক ত্বহা জানান, একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে সেলুন, বুটিক ও পারফিউমের দোকানে কর্মরত অবস্থায় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ২০ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
সোমবার অভিযানের পর জাফরি এমবোক ত্বহা সাংবাদিকদের বলেন, 'অভিবাসীদের বৈধ পাস বা পারমিট না থাকা, অতিবাহিত হওয়া এবং পাসের শর্ত না মানার অপরাধে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
বিদেশি কর্মীদের নিয়োগে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৫৫বি ধারায় তদন্তের জন্য চার স্থানীয় নিয়োগকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর ২০টি হটস্পটের মধ্যে একটি এ শপিং মল পুলিশের নজরদারিতে ছিল বলেও জানান জাফরি।
| মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি শপিং মল থেকে বাংলাদেশিসহ ৪৬ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। |
international | জাপানে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত | জাপানে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বাংলাদেশ দূতাবাস জাপান দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। একুশের প্রভাতফেরিতে প্রথমে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, এরপর তোশিমা সিটির ডেপুটি মেয়র কাতোসুমি আমাগাই স্থানীয় জাপানি প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাপানিজ সুহৃদ এবং প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক এবং স্থানীয় জাপানি নেতাদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন প্রথম সচিব (লেবার) মো. জয়নাল আবেদিন।
নীরবতার সঙ্গে শ্রদ্ধা জানানো শেষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন প্রথম সচিব (লেবার) মো. জয়নাল আবেদিন।
এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউনেস্কোর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের দেওয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণীগুলো পাঠ করেন যথাক্রমে ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ, মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অফ মিশন শাহ আসিফ রহমান, মিনিস্টার (কমার্স) আরিফুল হক, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) এবং দূতালয় প্রধান শেখ ফরিদ।
এরপর রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
শাহাবুদ্দিন আহমদ স্বাগত বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে মাতৃভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশসহ সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্যে উন্মুক্ত আলোচনায় জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মাসাতো ওয়াতানাবে, সাবেক জেওসিভি স্বেচ্ছাসেবী ওশিমা মুতোসুকো ও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা বক্তব্য দেন।
এরপর দিবসটির তাৎপর্যে 'ভাষা আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধুর অবদান' শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোহাম্মদ ইমরানুল হাসান দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) ।
[email protected]
| জাপানে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। |
international | মোবাইল বিল পরিশোধ না করে দেশে ফিরতে পারবেন না কুয়েতপ্রবাসীরা | ট্রাফিক জরিমানা, পানি ও বিদ্যুৎ বিলের পর এবার মোবাইল বিল পরিশোধ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে কুয়েত সরকার। এসব বিল পরিশোধ না করলে প্রবাসীদের নিজ দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না।
বিমানবন্দর থেকে তাদের ফিরিয়ে দিতে ব্যবস্থাও নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার কুয়েতের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানায়, প্রবাসীরা দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে তাদের কাছ থেকে বিল সংগ্রহের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
প্রবাসীদের এ নতুন আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
যোগাযোগ
মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ আল-মেজরেন বলেন, 'কয়েকদিনের মধ্যে এটি কার্যকর করা হবে। প্রবাসীরা সাহেল অ্যাপ্লিকেশন, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (http://moc.gov.kw) বা বিমানবন্দরে যেকোনো টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া বিমানবন্দরে মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে পরিশোধ করা যাবে।'
কুয়েত ত্যাগ করার আগে প্রবাসীদের বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ এখন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তাদের ট্রাফিক জরিমানা পরিশোধ করতে হয়। বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া, প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত পার্কিং স্পেসে দ্রুত গাড়ি চালানো এবং অবৈধভাবে ব্যবহার করার বিল বিমানবন্দরে পরিশোধ করা যায়।
| ট্রাফিক জরিমানা, পানি ও বিদ্যুৎ বিলের পর এবার মোবাইল বিল পরিশোধ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে কুয়েত সরকার। এসব বিল পরিশোধ না করলে প্রবাসীদের নিজ দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না। |
international | সিডনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কিশোরের বোনের সতর্কবার্তা | অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত শুক্রবার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোর মাহিউদ্দিন মাহী (১৭) নিহত হয়।
আজ সোমবার মাহীর বোন তাসনিয়া উদ্দিন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে চালকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, 'মাহীর মৃত্যু আমাদের জন্য খুবই আবেগের বিষয়। আমি সব চালককে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করতে চাই।'
'তার অমায়িক আচরণ এবং উদারতার জন্য আমরা তাকে আজীবন মনে রাখব,' বলেন তিনি।
তাসনিয়া উদ্দিনের এ সতর্কবার্তাটি আজ অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সবগুলো শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত হয় মাহী। আগামী বছর তার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
কয়েকদিন আগেই 'প্রভিশনাল রেড-পি' লাইসেন্স পেয়েছিল মাহী। লাইসেন্স পাওয়ার পরই পরিবারের কাছে গাড়ি কিনে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। নতুন লাইসেন্স পাওয়া ছেলের অনুরোধে বাবা-মা তাকে কিনে দেয় 'স্পোর্টস কার' মিতসুবিশি ইভিও।
গাড়ি কেনার তিনদিন পর এম ফাইভ মোটরওয়ের গার্ডরেলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিহত মাহী। দুর্ঘটনায় আগুন ধরে তার গাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
সিডনির গ্লেনফিল্ড হার্লসটন অ্যাগ্রিকালচারাল হাইস্কুলের ইয়ার ইলেভেনের শিক্ষার্থী মাহিউদ্দিন মাহীর বাবা গিয়াস উদ্দিন ও মা হাবিবা লিপির সঙ্গে সিডনির এডমনসন পার্ক এলাকায় থাকতেন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত শুক্রবার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোর মাহিউদ্দিন মাহী (১৭) নিহত হয়। |
international | মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে প্রবাসী শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য: জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার | জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মী ও শরণার্থীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়ায় দুই দিনের সফরের পর এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
ভলকার তুর্ক বলেন, 'সমাজে অভিবাসীদের বিভিন্ন অবদান স্বীকৃতি, সম্মান ও প্রশংসার দাবি রাখে।'
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন কার্যালয়ের এক গবেষণার বরাতে তিনি বলেন, 'মালয়েশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ স্পষ্টভাবে দেশটির অর্থনীতি ও সমাজে প্রবাসী কর্মীদের অবদানকে স্বীকার করে।'
গবেষণার জরিপের বরাত দিয়ে ভলকার তুর্ক জানান, যখন সবার প্রতি সবার সমর্থন থাকে, তখন আমাদের সমাজ শক্তিশালী হয় বলে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৬৩ শতাংশ মনে করেন।
অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকের বেশি মনে করেন, আমাদের অন্যদের সহযোগিতা করা উচিত, তারা যেই হোক বা যেখান থেকেই আসুক না কেন।
মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, 'অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
তিনি গত রোববার মালয়েশিয়ায় পৌঁছান এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান, অন্যান্য মন্ত্রী, মালয়েশিয়ার জাতীয় মানবাধিকার ইনস্টিটিউশন এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া মিয়ানমারের সংকট, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও তিনি কথা বলেন এবং আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে মালয়েশিয়াকে তাদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেন।
মিয়ানমারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জরুরি সমাধানের ওপর জোর দিয়ে ভলকার তুর্ক বলেন, 'একটি সমাজ সবচেয়ে দুর্বলদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে, তা দিয়ে তাদের অগ্রগতি পরিমাপ করা যায় এবং প্রকৃতপক্ষে এটি সামাজিক ও মানবাধিকার সুরক্ষার একটি লিটমাস পরীক্ষা।'
| জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মী ও শরণার্থীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। |
international | মালয়েশিয়ায় ১৭১ বাংলাদেশি বৈধ কর্মীকে আটকের নিন্দা এমটিইউসির | মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে ১৭১ বাংলাদেশি বৈধ অভিবাসী কর্মীকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে দেশটির শ্রমিক সংগঠন মালয়েশিয়ান ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (এমটিইউসি)।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব কামারুল বাহারিন মনসুর এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব শ্রমিক এজেন্টদের মাধ্যমে চাকরি না পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের শাস্তির পরিবর্তে সহায়তা করা উচিত।
সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, 'এমটিইউসি চাকরি জালিয়াতির শিকার বিদেশি কর্মীদের আটকে পুলিশ ও ইমিগ্রেশনের ভুমিকায় হতবাক। প্রতারণার শিকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়ে সহায়তা করা উচিত।'
এমটিইউসি বলছে, 'এসব বিদেশি শ্রমিক বৈধভাবে প্রবেশ করেছে। কিন্তু প্রতারণার শিকার হয়ে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।'
এমটিইউসি মালয়েশিয়া সরকারকে এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং যারা চাকরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে মালয়েশিয়া গিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় না, তাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
কামারুল বাহারিন মনসুর বলেন, 'এমটিইউসি মালয়েশিয়ার বাইরে থেকে এবং সরাসরি বিদেশি কর্মীদের নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থা ও ব্যক্তির মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণা হচ্ছে বলে রিপোর্ট পেয়েছে।'
তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'যদি এই সমস্যা সঠিকভাবে সমাধান করা না হয়, তাহলে পরের বছর মানবপাচার প্রতিবেদনে মালয়েশিয়া তৃতীয় স্তরে পড়ার ঝুঁকি আছে।'
এমটিইউসি সরকারকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিদেশি কর্মীদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে। এ ধরনের শিথিল অবস্থানের ফলে শ্রম আইন লঙ্ঘন হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'কোম্পানিগুলো বিদেশি শ্রম সরবরাহ শিল্পের সুবিধা নেয়, যা সোনার খনি হিসেবে দেখা হয়। এই শিল্পে দুর্নীতি, ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, গুন্ডাবাদ ও কার্টেলসহ বিভিন্ন নেতিবাচক চর্চা আছে।'
বিদেশি কর্মীদের সমস্যার উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্লাভস ও পাম তেল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে জানিয়ে মানসুর বলেন, 'বিদেশি কর্মীদের জন্য সুরক্ষা ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি, যেন দেশটিকে সুনাম ক্ষুন্ন হওয়া এবং অর্থনৈতিক নেতিপ্রভাব থেকে রক্ষা করা যায়।'
মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সঙ্গে জড়িত পুরো চক্রের ওপর ব্যাপক তদন্ত শুরুর অনুরোধ করেছে এমটিইউসি।
সংগঠনটি বলছে, বিদেশি কর্মীদের পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর ওপর তদন্ত করা উচিত, তাদের প্রবেশের অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের ও বিদেশি কর্মী গ্রহণকারী সংস্থাগুলোর ওপরও তদন্ত করা উচিত।
জোহর পুলিশ বলেছে, গত ২০ ডিসেম্বর ১৭১ জন বাংলাদেশি পুরুষের একটি দল তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করতে বায়ু দামাই থানার দিকে যাচ্ছিল। তাদের দাবি ছিল, তারা মালয়েশিয়া প্রবেশের তিন থেকে ছয় মাস পরেও নিয়োগ পায়নি।
আটককৃতদের অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
| মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে ১৭১ বাংলাদেশি বৈধ অভিবাসী কর্মীকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে দেশটির শ্রমিক সংগঠন মালয়েশিয়ান ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (এমটিইউসি)। |
international | অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে বাংলাদেশি যুবকের ভোট না দেওয়ার মর্মান্তিক গল্প | অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান গণমাধ্যম এবিসির অনলাইন সংস্করণে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশি যুবক মোহাম্মদ সজল হোসেন এবারের নির্বাচনে কেন ভোট দেননি, সেই গল্পই মূলত ওই প্রতিবেদনের প্রধান বিষয়।
সংবাদমাধ্যমটির দক্ষিণ এশিয়া সংবাদদাতা মেঘনা বালি, ঢাকার তানবিরুল মিরাজ রিপন এবং সোম পতিদারের লেখা ওই প্রতিবেদনে শুরুতেই বাংলাদেশে পুলিশ হেফাজতে একটি মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ সজল হোসেনের বাবা সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে হেফাজতে মারা গেলে, তিনি সে কথা কাউকে জানাননি।
তিনি মনে করেছিলেন যে, তিনি যদি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেন তাহলে তারা তার বাবার মরদেহ দেবে না এবং তিনি বাবাকে দাফনের সুযোগ হারাবেন।
সজল হোসেন বলেন, 'বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার বিশ্বাস নেই। এই দেশে ন্যায়বিচার হয় না।'
প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়, দুই মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে করা সমাবেশের পর থেকে হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে গণগ্রেপ্তার করা হয় তখন পুলিশ সজলের বাবা চা-দোকানদার ফজলুর রহমান কাজলকেও তুলে নিয়ে যায়।
এতে বলা হয়, 'গ্রেপ্তারের একদিন পর ফজলুর রহমান কাজল হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তাকে কারাগার থেকে একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।'
সজল হোসেন প্রতিবেদকদের বলেন, 'আমার বাবার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তিনি মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। তার হাতকড়া পরানো ছিল এবং তার পাও বাঁধা ছিল।'
যদিও পরিবার কখনোই নিশ্চিতভাবে জানতে পারেনি যে কি ঘটেছে। তারা জানান, ফজলুর রহমান আগে কখনো হৃদরোগে আক্রান্ত হননি।
পরিবারের বিশ্বাস, ফজলুরকে কারাগারে মারধর করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, 'তিন দশকের বেশি সময় ধরে ফজলুর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সক্রিয় সংগঠক ছিলেন।'
মৃত ফজলুর রহমান কাজলের ছেলে বিশ্বাস করে, একমাত্র রাজনৈতিক কারণে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় এসেছে। এটা একনায়কতন্ত্র। আমি ভোট দেইনি। আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, তাহলে আমি কীভাবে ভোট দেই? এটা আমাদের মানবাধিকারের লঙ্ঘন।'
| অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান গণমাধ্যম এবিসির অনলাইন সংস্করণে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। |
economy | ইতালিতে আবেদনের ক্লিক ডে ২ ডিসেম্বর: কী যোগ্যতা প্রয়োজন, খরচ কত | ইতালির যর্জা মেলোনি সরকার আগামী ৩ বছরে ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক আমদানির ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক আমদানি করা হবে।
এ বিষয়ক সরকারি গেজেটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১ লাখ ৩৬ হাজার শ্রমিক আমদানির জন্যে ডিসেম্বরের ২, ৪ এবং ৮ তারিখ থেকে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে। আবেদন ফরম ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
২ ডিসেম্বর স্থায়ী শ্রমিক বা নন সিজনাল শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। এই ক্যাটাগরিতে ৫২ হাজার শ্রমিককে ভিসা দেওয়া হবে। ৪ তারিখ গৃহকাজের জন্যে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এতে বেবি এবং বয়স্ক সিটিংসহ প্রায় ১০ হাজার ভিসা দেওয়া হবে। ৮ ডিসেম্বর তারিখে সিজনাল ক্যাটাগরির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং ৮২ হাজার ভিসা দেওয়া হবে।
আবেদন গ্রহণ শুরুর দিনকে ইতালিতে 'ক্লিক ডে' বলা হয়। সুতরাং ২০২৩ সালের ক্লিক ডে হলো ২, ৪ এবং ৮ ডিসেম্বর।
এ ছাড়া সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ২০২৪ সালের ১ লাখ ৫১ হাজার শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের ক্লিক ডে ৫,৭ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি।
কারা আবেদন করতে পারবেন
কোনো শ্রমিক সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। শ্রমিকের পক্ষে নিয়োগদাতা অনলাইনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের ট্যাক্স প্রদান নিয়মিত এবং গৃহ মালিকদের নির্দিষ্ট অংকের বার্ষিক আয় থাকতে হবে। নিজের বাড়ি বা ভাড়া বাড়ির কন্ট্রাক্ট থাকতে হবে। ইতালীয় ডকুমেন্ট 'কার্তা দি সোজর্ন'ধারী অভিবাসীরাও শ্রমিক আমদানি করতে পারবেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা গৃহকাজের জন্য।
নিয়োগপ্রাপ্ত হতে কী যোগ্যতা লাগবে
বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। অন্তত ২ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট থাকতে হবে। যারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তাদের কর্মদক্ষতার প্রমাণাদি থাকতে হবে। শিক্ষাগত কোনো সনদ প্রয়োজন হবে না।
কত খরচ হবে
আবেদন করতে শ্রমিকের খরচ নেই। আবেদনকারী বা নিয়োগদাতার খরচ হয় ১৬ ইউরো। অর্থাৎ আবেদনের সঙ্গে ১৬ ইউরো মূল্যের একটি ডাকটিকিট (মার্কা দা বোল্লো্) সংযোগ করতে হয়। এর বাইরে আবেদন ফরম পূরণ করতে যদি কোনো হেল্প ডেক্সের সহযোগিতা নেওয়া হয়, সেখানে এক থেকে দেড়শ ইউরো খরচ হতে পারে। কিন্তু একজন শ্রমিক যেহেতু সরাসরি আবেদন করতে পারেন না বা বাংলাদেশে বসে ইতালীয় নিয়োগদাতা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব প্রায়, মাঝখানে দাঁড়িয়ে যান একজন 'মধ্যস্বত্বভোগী'। মূলত শ্রমিকের কাছ থেকে তিনিই মোটা অঙ্কের অর্থ নেন, যা ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড়ায়।
কত টাকা আয় করা যাবে
যারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তারা নিয়োগের স্তর বুঝে পারিশ্রমিক পাবেন, যা মাসিক ১৫০০ থেকে ২৫০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। যারা অদক্ষ বা মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তারা মাসে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। যদি নিয়োগদাতার সঙ্গে থাকা-খাওয়ার চুক্তি থাকে তবে আয়ের বড় অংশ সঞ্চয় করা যায়, অন্যথায় এতে বড় একটা অংশ বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ একজন মৌসুমী শ্রমিক যদি ইতালি আসতে ৬ লাখ টাকা খরচ করেন, তা কোনোভাবেই এক সিজনে (৯ মাস) সঞ্চয় করা সম্ভব হয় না।
কতদিন ইতালিতে থাকা ও কাজ করা যাবে
যারা নন সিজনাল শ্রমিক হিসেবে আসেন তাদের ইতালীয় ডকুমেন্ট (পেরমেচ্ছো দি সোজর্ন) নবায়ন করা হয় সাধারণত ২ বছর অন্তর। যারা অদক্ষ বা সিজনাল ভিসায় আসবেন তারা সর্বোচ্চ ৯ মাসের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। ৯ মাস পর অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
বাংলাদেশের জন্য কী কোটা আছে
অতীতে বাংলাদেশের জন্যে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের কোটা বেঁধে দেওয়া হলেও এখন কোনো কোটা নেই। মেলোনি সরকার দেশভিত্তিক কোটা পদ্ধতি উঠিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশসহ কোনো দেশের জন্যই নির্দিষ্ট কোনো কোটা নেই।
আবেদনের শেষ তারিখ কবে
অতীতে আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ উল্লেখ থাকলেও এবার সরকারি গেজেটে কোনো তরিখ উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ ২০২৩ সালের মোট ১ লাখ ৩৬ হাজারের কোটা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ চলবে। তবে সাধারণত ক্লিক ডের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই কোটা পূরণ হয়ে যায়।
আবেদন করলেই কি ইতালিতে যাওয়া যাবে
প্রতিটা আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। আবেদনের সকল শর্ত ঠিক থাকলে এবং কোটার আওতায় থাকলে ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে 'নূল্যা-ওস্তা' (ভিসার অনুমোদনপত্র) বা এনওসি দেওয়া হবে নিয়োগদাতার কাছে। নিয়োগদাতা সেটা পাঠাবেন শ্রমিকের কাছে। শ্রমিক সেটা জমা দিয়ে ঢাকার ইতালীয় দূতাবাস বা ভিসা এজেন্সিতে ভিসার জন্যে আবেদন করবেন। সাধারণত নূল্যা-ওস্তায় কোনো অসঙ্গতি না থাকলে ভিসা রিফিউজ করা হয় না। অতীতে দালাল চক্রের নকল নূল্যা-ওস্তা দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার খবর ইতালীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
সিজনাল এবং নন সিজনাল ভিসার পার্থক্য কী
সিজনাল ভিসা বা স্পন্সর হলো মৌসুমি শ্রমিকদের জন্য। গ্রীষ্মের সময়ে ইতালির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিজনাল শ্রমিক দরকার হয়। যেমন পর্যটক নির্ভর ব্যবসা, কৃষি কাজ ইত্যাদি। এসব কাজের জন্যে প্রতি বছর ইতালিতে ৬ থেকে ৯ মাসের জন্য সিজনাল শ্রমিক আমদানি করা হয়। এই ক্যাটাগরির ভিসাকে স্তাজোনালে বা সিজনাল ভিসা বলে। বাংলাদেশে অনেকে এটাকে 'কৃষি ভিসা' নামে জানে।
৬ থেকে ৯ মাসের সিজনাল ভিসায় যারা ইতালিতে আসেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হলে বাধ্যতামূলক তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়। না গেলে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে গণ্য হয় এবং দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হয়। ইতালিতে অবৈধ অভিবাসীরা নিয়মিত কোনো চাকরি পান না। পুলিশের চোখ এড়িয়ে হকারি করে জীবন নির্বাহ করতে হয়।
নন সিজনাল ভিসা বা 'সুবোরদিনাতো' হলো স্থায়ী শ্রমিকের ভিসা। এই ক্যাটাগরিতে একজন শ্রমিক ইচ্ছা করলে সারাজীবন ইতালিতে থাকতে পারবেন, যদি বিশেষ কোনো অপরাধে না জড়ান। কল-কারখানা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, গৃহ শ্রমিক, নার্স, বেবি সিটার, ইলেট্রিশিয়ান, বাস-ট্রাক ড্রাইভার, মেকানিক, খাদ্য প্রস্তুত এবং সরবরাহ, ভবন নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ, টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের জন্যে এই ভিসা দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স ইতালিতে অনুমোদিত না হওয়ায় ড্রাইভার পদে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ পাওয়া যাবে না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইতালিতে অনুমোদিত ওইসব দেশের প্রবাসীরা আবেদন করতে পারবেন।
ইতালি এখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও অনুকূল একটা দেশ। ২০২২-২৩ সালে ইতালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে বাংলাদেশি ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ইতালীয় বিশ্ববিদ্যায়লগুলোতে যোগাযোগ করতে হবে। সহজ স্কলারশিপসহ কম খরচে উচ্চশিক্ষার জন্য ইতালি এখন এশিয়ানদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় দেশ।
ইতালিতে সাধারণ বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশ সুনাম আছে। নিয়োগদাতারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের পছন্দ করেন। ২০২২-২৩ সালের এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে ভিসা দেওয়া হয়েছে।
সতর্কতা: ইতালিতে শ্রমিক আমদানিকে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে বহু দালাল চক্র সক্রিয় হয়েছে। তারা অগ্রিম অর্থ নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। অনেকে প্রতারিত হয়েছেন, হচ্ছেন।
| ইতালির যর্জা মেলোনি সরকার আগামী ৩ বছরে ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক আমদানির ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক আমদানি করা হবে। |
economy | করোনাসহ সংক্রামক রোগ মোকাবিলা প্রকল্পে বাংলাদেশকে আইএফআরসির মনোনয়ন | কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য 'স্টকপাইল' প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১০ মিলিয়ন ডলারের দুই বছর মেয়াদী সহযোগিতামূলক প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে মনোনীত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ন্যাশনাল হেডকোয়ার্টারে এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন ও আইএফআরসির মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়।
প্রকল্পের জন্য বাছাই করার ক্ষেত্রে আইএফআরসি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, বিশেষ করে যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন এজেন্সি (পিআইএ) হিসেবে এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন (আসেফ) ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজকে (আইএফআরসি) মনোনীত করেছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন, দাতো সেরি ডি রাজা তান শ্রী টুঙ্কু পুতেরি ইন্তান সাফিনাজ বিন্তি আলমারহুম সুলতান আব্দুল হালিম মুআদজাম শাহ, টুঙ্কু তেমেনগং কেদাহসহ মালয়েশিয়ায় জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকাহাশি কাতসুহিকো, এএসইএফের নির্বাহী পরিচালক, রাষ্ট্রদূত তোরু মরিকাও এবং আঞ্চলিক পরিচালক আইএফআরসি আলেকজান্ডার ম্যাথিউ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সইয়ের বিষয়ে বলেন, 'এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্র, চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।'
উল্লেখ্য, জাপান সরকার এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম) দেশগুলিতে কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য 'স্টকপাইল' প্রকল্পে এই দশ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে।
এই তহবিল ব্যবহার করে আইএফআরসি এবং ন্যাশনাল সোসাইটিগুলো একটি কাঠামোবদ্ধ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান এবং ফিলিপাইনের সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে 'স্টকপাইল' প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
| কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য 'স্টকপাইল' প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১০ মিলিয়ন ডলারের দুই বছর মেয়াদী সহযোগিতামূলক প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে মনোনীত করা হয়েছে। |
entertainment | যুক্তরাষ্ট্রে নবান্ন বা ‘থ্যাংকসগিভিং’ ছুটি | ফল ব্রেক বা শরৎকালীন দুদিন ছুটির পর সবাই এখানে অপেক্ষা করে থাকে থ্যাংকসগিভিং ব্রেকের। বড়দিনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ছুটির সময় হলো এই থ্যাংকসগিভিং ব্রেক। প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার খুব ঘটা করে এই ছুটি উদযাপন করা হয়। আর এই ছুটি মানেই 'ব্ল্যাক ফ্রাইডে', মানে তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বিশেষ ছাড়ে কেনাকাটা।
ভাগ্যক্রমে সিমেস্টার ফাইনালের আগে টানা ৪-৫ দিন বন্ধ পেয়ে গেলাম, যদিও থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটি তিন দিনই হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের বল রুমে, গির্জা কিংবা এখানকার স্থানীয়দের বাসার আপ্যায়নে এবারের থ্যাংকসগিভিং ডিনার বেশ আমুদে এবং ভিন্ন ছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে আসা হলেও, এবারই এত আপ্যায়নের মাধ্যমে এই ব্রেকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ঐতিহ্য জানা হয়েছে বেশ কাছ থেকে।
থ্যাংকসগিভিং ডিনার বা ভোজ মানেই এখানকার চিরায়ত টার্কি, পটেটো ম্যাশ, আর শীতপ্রধান এই দেশের ক্র্যানবেরি সস এবং ঐতিহ্যের পাম্পকিন পাই, যা বানানো হয় মিষ্টি কুমড়া দিয়ে। খেয়াল করলে দেখা যায়, পৃথিবীর উত্তর কিংবা দক্ষিণ, যে প্রান্তের দেশই হোক না কেন, মানব সভ্যতার আয়োজনগুলো অনেকটা একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। এই থ্যাংকসগিভিংয়ের মূলে রয়েছে এখানকার আদিবাসী বা নেটিভ ইন্ডিয়ানদের 'নবান্ন উৎসব'। বাংলাদেশে আমরা যেমন হেমন্তের আগমনে নতুন ধান বা নবান্নের আয়োজন করি, এখানেও তেমন শরতের সময়ে যে নতুন শস্য, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, বিভিন্ন বেরি এবং স্কোয়াশ কৃষকের ঘরে তোলা হতো, তারই আনন্দ উদযাপনের অংশ হিসেবে বিধাতার উদ্দেশে এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন।
তবে সময়ের হাত ধরে এই থ্যাংকসগিভিং উদযাপনে পরিবর্তন এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন শরতের পরিবর্তে প্রতি বছরের নভেম্বরেই নির্দিষ্টভাবে পঞ্জিকার পাতায় এই ছুটির দিনক্ষণ লিপিবদ্ধ করে দেন। এখন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অন্যান্য দেশ বা মহাদেশে, যেমন- কানাডায় ঘটা করে থ্যাংকসগিভিং পালিত হলেও সেটা এখানকার স্থানীয়দের মতো নয়। উদযাপনের সময়েও রয়েছে পার্থক্য।
এসব ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল আসলে স্থানীয় টড আর তার স্ত্রী আঙ্কা মার্টিনের আপ্যায়নে। এই দম্পতির সঙ্গে পরিচয় মূলত এ বছরেই গির্জার থ্যাংকসগিভিং ডিনারে। ১২টি ভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা, ইনডোর গেমস, এমনকি বিভিন্ন দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, আমাদের একেকজনের বিভিন্ন স্বপ্ন, ভাবনা নিয়েও আলোচনা হচ্ছিল ফায়ার প্লেসের পাশেই। ভিন্ন ধর্ম এবং সংস্কৃতির কথা চিন্তা করেই মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ভিন্ন খাবারের ব্যবস্থা। একটা বিষয় খেয়াল করলাম, মার্কিনিরা আপ্যায়নে বিশেষভাবে অমায়িক। কারও ভিন্ন মত, বিশ্বাসে যাতে এতটুকু আঘাত না লাগে সেদিকেও তারা বেশ সচেতন। অন্তত ক্যাম্পাস বা বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায় এটা মেনে চলা হয় খুব সতর্কতার সঙ্গে।
এর দুদিন পর এ বছরের শেষ থ্যাংকসগিভিং ডিনারে যাওয়ার উদ্দেশে বের হলাম আমার ইন্টার্নশিপের সুপারভাইজার ড. অ্যানের সঙ্গে। সুবিধাবঞ্চিত প্রবাসী লাতিনদের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম পুরো গ্রীষ্ম জুড়ে। অ্যানের বয়স ৭৭ হলেও কী দক্ষভাবে গাড়ি চালিয়ে নিলেন পুরো রাস্তাটুকু। নভেম্বরের এই শীতের সন্ধ্যায় বাইরে যখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এবং মাইনাস এক থেকে তিনের কাছে তাপমাত্রা, তখন অ্যানের বন্ধুর বাসার ফায়ার প্লেসটি ছিল চমৎকার। একজন দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থী হিসেবে সবচেয়ে খুশি হয়েছিলাম রাতের খাবারে টার্কির বদলে বিরিয়ানি দেখে। পরে জানলাম ড. অ্যানের এই বন্ধুর পূর্বপুরুষ ভারতের, যদিও তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ফিজির কোনো এক দ্বীপে।
অতঃপর এ বছরের 'লাস্ট সাফার' বা শেষ ডিনার শুরুর পূর্বে হোস্ট বা আপ্যায়নকারী বিধাতার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছিলেন। প্রতিটি খাবার, সুন্দর সময় এবং জীবনে চলার পথে আমাদের এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আনন্দ, সবকিছুই জগতের পরিক্রমায় নির্ধারিত। আমি ভিন্ন সংস্কৃতি এবং ধর্ম-বিশ্বাসের মানুষ। একইসঙ্গে অন্য বিশ্বাসের মানুষের প্রতিও শ্রদ্ধা রাখি।
তাই ভিনদেশের মানুষের মাঝে বসে বাংলাদেশের এই শিক্ষানবিশের উপলব্ধি, জীবনের এই ক্ষণিক যাত্রায় আমার এই মুহূর্তগুলো, নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিচিতি, টার্কির বদলে অযাচিতভাবে বিরিয়ানি পেয়ে যাওয়ার পিছে বিধাতা, কোনো শক্তি কিংবা এই পুরো জগতের সকল পরিকল্পিত হিসাব যাই থাকুক না কেন, তার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি বা আমরা কেউই জানি না আসছে বছরের হেমন্তের নবান্নে কিংবা শীতের এই থ্যাংকসগিভিংয়ে কে কোথায় থাকব। তাই কৃতজ্ঞতাটুকু থাকুক নতুনের আশায় এবং বর্তমান উদযাপনের মাঝে।
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| ফল ব্রেক বা শরৎকালীন দুদিন ছুটির পর সবাই এখানে অপেক্ষা করে থাকে থ্যাংকসগিভিং ব্রেকের। বড়দিনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ছুটির সময় হলো এই থ্যাংকসগিভিং ব্রেক। প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার খুব ঘটা করে এই ছুটি উদযাপন করা হয়। আর এই ছুটি মানেই 'ব্ল্যাক ফ্রাইডে', মানে তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বিশেষ ছাড়ে কেনাকাটা। |
international | জাপানে এ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ | গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন জাপানের আয়োজনে বহুদেশীয় এবং বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩ যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো বাংলাদেশ।
জাপানের টোকিওতে আয়োজিত সপ্তমবারের এই আয়োজনে অংশ নিয়ে বরাবরের মতো এবারও প্রবাসী শিশু শিল্পী একাডেমীর একঝাঁক শিশু শিল্পীসহ বাংলাদেশি শিল্পীরা সুনাম কুড়িয়েছেন। পুরো আয়োজন জুড়েই প্রাধান্য ছিল বাংলাদেশিদের।
টোকিওর চুও সিটির 'প্লাজা মাম' এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবারের অনুষ্ঠানের পরিচালক ইসাও তোকুহাশি। এ ছাগা, বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন জাপানের সভাপতি আয়া গোতো।
ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি। এ ছাড়া, জাপানে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও স্থানীয়রাও এতে অংশ নেন।
আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন বাংলাদেশিরা। এ ছাড়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, মিয়ানমার, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও জাপানী খাদ্য সংস্কৃতি স্থান পেলেও বাংলাদেশ ছিল থিম কান্ট্রি।
বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আয়োজনের ভাইস চেয়ার রাহমান মনি।
ড. তপন কুমার পালের পরিচালনায় 'শিশু শিল্পী একাডেমী'র তুষ্টি বণিক, মৃন্ময়ী পাল, শ্রীদিকতা বাড়ৈ, চৈতি সাহা, কাকলী আহমেদ, সানজিদা আহমেদ বরাবরের মতোই দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। আয়োজনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে সাদ্দি আহমেদ ও নাশরাহ আহমেদ দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে রাহমান মনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'এখানে আমরা বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষার, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এক হয়েছি। আমরা একটি পরিবারের মতো। ২০২৪ সালে আবারও সবার দেখা হবে বলে আশা করছি।'
| গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন জাপানের আয়োজনে বহুদেশীয় এবং বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩ যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো বাংলাদেশ। |
international | জাপানে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ৩৭৯ যাত্রীর বেঁচে যাওয়ার নেপথ্যে ক্রুদের দক্ষতা | গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জাপানের হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল জাপান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। সে সময় রানওয়েতে পার্ক করা আরেকটি উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় উড়োজাহাজটির।
এতে দুটি উড়োজাহাজেই আগুন ধরে যায়। আগুনসহ জাপান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি রানওয়েতে অবতরণ করে।
এয়ারবাস এ-৩৫০ উড়োজাহাজে সে সময় ৩৭৯ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে আটজন ছিল শিশু। তবে তাদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
কীভাবে তা সম্ভব হলো, এ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।
কেউ কেউ ধর্মীয় দিক বিবেচনা করছেন, অনেকেই আবার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে চেষ্টা করছেন। আবার কেউ বলছেন এটা 'জাস্ট অ্যা মিরাকল।'
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া বিবিসির সাংবাদিক থিও লেগেটের মতে, যাত্রীদের প্রাণ রক্ষায় সাহায্য করেছে উড়োজাহাজের আধুনিক প্রযুক্তি।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার পক্ষে মূল যুক্তি ছিল, আগুন লাগার পরেও উড়োজাহাজটির মূল কাঠামোটি সুরক্ষিত ছিল। এর ফলে ৩৭৯ জন যাত্রী ও ক্রুকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তাদের মতে, এ-৩৫০ উড়োজাহাজ কার্বন ফাইবারের মতো নতুন শক্তিশালী উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা দীর্ঘ সময় আগুন সহ্য করতে পারে। এ সময়ের মধ্যে যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারে।
উড়োজাহাজের কাঠামো ডিজাইন করার সময় চ্যালেঞ্জ হলো, এর ওজন কমানো ও শক্তি বজায় রাখা। এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যেন উড়োজাহাজের অর্ধেক জরুরি দরজা খোলা রেখেই ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে সব যাত্রীকে সরিয়ে নেওয়া যায়।
তবে যে যুক্তি বা ব্যাখ্যা দেওয়া হোক না কেন, উড়োজাহাজের যাত্রীদের বাঁচাতে জাপান এয়ারলাইনসের পাইলট ও ক্রুরা যে তৎপরতা চালিয়েছেন তা অস্বীকার কোনো উপায় নেই। এখানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল যাত্রীদের সহযোগিতা।
অর্থাৎ, এ-৩৫০ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় যাত্রীদের বেঁচে যাওয়ার পক্ষে যাত্রীদের সহযোগিতা এবং কেবিন ক্রুদের দক্ষতার যুক্তিটিই সবচেয়ে জোরালো ও গ্রহণযোগ্য।
জাপানিদের বাল্যকাল থেকেই সামাজিক শিক্ষার ট্রেনিং দেওয়া হয়। নিজেদের মধ্যে লিডারশিপ তৈরি করা, লিডারের নির্দেশ মেনে চলার শিক্ষাটা ছোটবেলা থেকেই তারা রপ্ত করে থাকে।
দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজের একজন যাত্রীও নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত সিট থেকে উঠে আগে বের হওয়ার চেষ্টা করেননি। নির্দেশনা মেনে চলেছেন। অর্থাৎ, ছোটবেলার শিক্ষার সঠিক প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
ক্রুরা দুর্ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ প্রথম কয়েক মিনিটে যাত্রীদের নিরাপদে বের করতে সক্ষম হন। যাত্রীরা নামার সময় লাগেজ বহন না করায় দ্রুত কেবিন খালি করা সম্ভব হয়েছে। লাগেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করে আতঙ্ক তৈরি করা কিংবা বেঁচে থাকার বাসনায় আগে যাওয়ার চেষ্টা করেননি কেউ।
তারা জাপানি শব্দ ′JUNBANKO' বা জুনবাঙ্কো মেনে চলেছেন, যার বাংলা অর্থ দেওয়া যেতে পারে ক্রমানুসারে। এখানে শক্তিপ্রয়োগ বা অগ্রাধিকার বলতে কিছু কাজ করেনি।
সুশৃঙ্খল জাপানি জনগণের জীবন চলার ভিত্তি গড়ে দেওয়া হয় শৈশব থেকেই। কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় এবং একতাবদ্ধতা ছাড়াও পরিবহন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জাপানের একটি অসাধারণ রেকর্ড আছে।
দুর্ঘটনাকবলিত ওই উড়োজাহাজের ক্রুরা তাদের শৈশব শিক্ষা কাজে লাগিয়েছেন। পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ট্রেইনিং অনুযায়ী নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ৮টি দরজার মধ্যে ৩টি দরজাকে নিরাপদ চিহ্নিত করে কাজে লাগিয়েছেন।
ক্রুরা যত দ্রুত সম্ভব ইমার্জেন্সি দরজা খুলে দিয়ে যাত্রীদের বের হয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। কোনো অগ্রাধিকার নয়, ট্রেইনিং অনুযায়ী সিট ধরে ধরে দরজার দিকে এগুতে নির্দেশ দিয়েছেন যাত্রীদের।
এভাবে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রথমে ৩৬৭ জন যাত্রীকে নিরাপদে নামানোর পর, কেবিন ক্রু ও পাইলটসহ ১২ জন নেমেছেন সবার শেষে। আর এভাবেই বেঁচে যায় ৩৭৯ জনের প্রাণ। এটাই প্রকৃত পেশাদারত্বের পরিচয়।
[email protected]
| গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জাপানের হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল জাপান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। সে সময় রানওয়েতে পার্ক করা আরেকটি উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় উড়োজাহাজটির। |
international | মালয়েশিয়ায় ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি কিশোরীর মৃত্যু | মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় সেদেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যম 'দ্য স্টার'।
কুয়ালালামপুরের ওয়াংসা মাজু জেলার প্রধান পুলিশ সুপার আশারি আবু সামাহ জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের তিতিওয়াংসা এলাকার এসকে স্তাপাকের জালান তিয়ারার বি ব্লকের একটি বিলাসবহুল কনডোমিনিয়াম থেকে একজনের পড়ে যাওয়ার খবর পান তিনি। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পুলিশ বি ব্লকের রাস্তায় ওই কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তার মাথাসহ পুরো শরীরে গুরুতর আঘাত ছিল।
পরে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তার পরিচয় প্রকাশ করেনি।
পুলিশ জানায়, সে একজন স্কুলছাত্রী। মা ও বোনের সঙ্গে ওই ভবনের ১২ তলার একটি ইউনিটে বসবাস করত। ঘটনার সময় মা ও বোন বাসায় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকে কাজের চুক্তি শেষ হওয়ার পর তার বাবা বাংলাদেশে চলে যান।
প্রাথমিক তদন্তে কিশোরীর বাসায় এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধমূলক উপাদান পাওয়া যায়নি এবং মামলাটি 'আকস্মিক মৃত্যু' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুয়ালালামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
| মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। |
international | অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ | আজ রোববার কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারী অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে সমাবেশ করেছে।
সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কয়েকশ প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে আসে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের সহকারী কমিশনার টনি কুক বলেছেন, সিডনি সমাবেশে ৬ হাজারেরও বেশি লোক জড়ো হয়েছিল। ভিক্টোরিয়া পুলিশ জানিয়েছে, মেলবোর্নে ১০ হাজার লোক মিছিল করেছে।
অ্যাডিলেডে রাজ্য পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ফিলিস্তিনপন্থী একটি সমাবেশ হয়। আরেকটি সমাবেশ হয় ব্রিসবেনে।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সুশৃঙ্খল এবং আইনানুগ আচরণ করেছে।
এর আগে, নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স সিডনি সমাবেশে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, কোনো ধরণের অপমান বা সহিংসতা সহ্য করা হবে না। সিডনির রাস্তায় 'কমান্ডো মহড়া' করতে দেওয়া হবে না।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ডেভিড হাডসন সমাবেশের আগে বলেছিলেন, পুলিশ এই সমাবেশের জন্য 'অসাধারণ ক্ষমতা' ব্যবহার করবে, যা ২০০৫ সালে ক্রোনুলা দাঙ্গার সময় প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, 'আমি ইঙ্গিত দিতে পারি যে আমরা যে ক্ষমতাগুলো অনুমোদন করার কথা বিবেচনা করছি তার মধ্যে যে কোনো ব্যক্তিকে আমাদের অনুসন্ধানের জন্য যুক্তিসঙ্গত কারণের প্রয়োজন নেই।'
'আমরা দাবি করবো যে তারা আমাদের আছে তাদের পরিচয়পত্র দেবে। সেটা যদি তারা না দেয় তবে এটা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে,' তিনি যোগ করেন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| আজ রোববার কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারী অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে সমাবেশ করেছে। |
international | মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি নিহত | মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকের ছুরিকাঘাতে মো. সুমন মিয়া (৩১) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী নিহত হয়েছেন।
সুমনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার আদমপুর ইউনিয়নের টুকারকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম জিয়া মিয়া।
এ ঘটনায় ৫৩ বছর বয়সী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটি, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে সুঙ্গাই পেটানির শ্রী আস্তানায় প্লাইউড নিয়ে তর্কের সময় বাংলাদেশি সুমন লাঠি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার এক নাগরিককে আঘাত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইন্দোনেশিয়ার ওই নাগরিক সুমনের পেটে ছুরিকাঘাত করেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। তারা দুজনেই একটি নির্মাণ কোম্পানিতে কাজ করছিলেন।
কুয়ালা মুদা জেলা পুলিশ প্রধান ও সহকারী কমিশনার জাইদি চে হাসান স্থানীয় মিডিয়াকে জানান, প্লাইউড নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরির আঘাতে পেটে গুরুতর আঘাতের কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, সুমন প্রথমে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে লোকটি রেগে যায় এবং তাকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিশোধ নেয়।
জাইদি বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ওই দিন রাত ৮ টায় বেডং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ এখনো এই ঘটনায় যে অস্ত্র ব্যবহার করেছিল তা খুঁজছে।
সুমনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুলতান আব্দুল হালিম হাসপাতালে (এইচএসএএইচ) পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত সম্পূর্ণ করতে ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্ধান করছে পুলিশ।
দেশে থাকা সুমনের মা সাফিয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানা গেছে, ৪ ভাই বোনের মধ্যে সুমন দ্বিতীয়। পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে ধার-দেনা করে ২০১৪ সালে নদীপথে মালয়েশিয়ায় যান সুমন।
ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে সুমনের মা জানান, মালয়েশিয়া যাওয়ার পর সুমনের ১০ বছর কেটে যায় অবৈধভাবেই। এই ১০ বছরে বাবা-মাকে একটি টাকাও দিতে পারেনি। সুদে টাকা এনে তাকে মালয়েশিয়া পাঠানো হয়েছিল। এখনো সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। লোকজন টাকার জন্য তাড়া দেয়।
সুমনের বাবা জিয়া মিয়া ঝালমুড়ি বিক্রি করেন, আর মা বাসায় বাসায় জিয়ের কাজ করেন।
সুমনের বোন জামাই নূর নবী জানিয়েছেন, সুমনের মরদেহ দেশে আনতে ২ আগস্ট বুধবার যাবতীয় কাগজপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কছে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে সুমনের কাগজপত্র মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নূর নবী।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে কবে সুমনের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে এ বিষয়ে জানতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
লেখক: মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
| মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকের ছুরিকাঘাতে মো. সুমন মিয়া (৩১) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী নিহত হয়েছেন। |
state | মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে বিমান | যাত্রী চাহিদা বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমান জানায়, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বিজি২৩৫ সরাসরি সিলেট-জেদ্দা রুটে যাত্রা করবে।
আর জেদ্দা-সিলেট রুটে আগামী বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি বুধবার বিজি২৩৬ সরাসরি যাত্রা করবে।
অন্যদিকে, আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বুধবার বিজি২৩৭ সরাসরি সিলেট-মদিনা রুটে যাতায়াত করবে।
যাত্রী চাহিদা, ওমরাহ যাত্রী বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এসব ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে বিমান জানিয়েছে।
এছাড়া, আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে প্রতি মঙ্গলবার বিজি১৩৮ সরাসরি মদিনা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রা করবে।
১১ ডিসেম্বর থেকে প্রতি সোমবার একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট বিজি১৪৮ সরাসরি দুবাই-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে।
১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বুধবার বিজি২২৭ সরাসরি সিলেট-আবুধাবি রুটে যাত্রা করবে।
১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি রবিবার বিজি১২৭ সরাসরি চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে চলাচল করবে।
এছাড়া আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি রোববার একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট বিজি১২৫ সরাসরি চট্টগ্রাম-দোহা রুটে যাত্রা করবে।
ইতোমধ্যে এসব রুটের শিডিউল বিমানের হোস্ট সিস্টেমসহ সব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
যাত্রীরা বিমানের যেকোনো সেলস সেন্টার, বিমান কল সেন্টার, বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com, মোবাইল অ্যাপস ও বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে এসব রুটের টিকেট কিনতে পারবে।
| যাত্রী চাহিদা বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। |
state | কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ‘সহিংস দমন-পীড়নে’ নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের | কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছে উত্তর আমেরিকায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারস ইন নর্থ আমেরিকা (বিসিএসএনএ)।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কার ও হত্যাকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবির প্রতিও সমর্থন জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি; যারা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কারের জন্য যথাযথভাবে প্রতিবাদ করছে এবং এখন নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু ও চলমান আইনি হয়রানির বিচারের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অন্যায্য কোটা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি। এছাড়া বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কার ও হত্যাকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ক্রমবর্ধমান দাবির প্রতিও আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে রায় দিলেও এই সিদ্ধান্তটি অনেক দেরিতে এসেছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে এই তরুণরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবির কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার প্রথমে বিক্ষোভকারীদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে তাদের নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি শক্তি মোতায়েন করে এবং খুব কাছ থেকে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়।
এ পর্যায়ে বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা যখন পুলিশের দিকে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করছিল তখন পুলিশ শটগানের গুলি, টিয়ার-গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে এর জবাব দিচ্ছিল, গুলি চালানো হচ্ছিল হেলিকপ্টার থেকেও। এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ নিরস্ত্র বিক্ষোভকারী পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলীয় সংগঠনগুলোর লোকজনের হাতে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও অজ্ঞাত মৃত্যু এবং হাজার হাজার গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা এই দুর্দশাকে আরও দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
বিবৃতিদাতারা বলছেন, 'পরবর্তীতে ১৯ জুলাই সরকার দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে বিক্ষোভকারীদের গুলি করার নির্দেশ দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। মিডিয়া এবং টেলিকম কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে বাংলাদেশকে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।
এখন সীমিত আকারে ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর সেই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বিবরণ উন্মোচিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, 'এটি দেশে গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ভবিষ্যতকে অস্পষ্ট করে তুলবে। এখন পর্যন্ত দায় স্বীকার করে ক্ষমতাসীন নির্বাহীদের বরখাস্ত করার পরিবর্তে সরকার তার স্বাভাবিক কায়দায় অন্যায়ের কথা অস্বীকার করেছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দল এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও দায়ী করেছে। এটা দুঃখজনক।'
ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সবগুলো জাতীয় আন্দোলনের ছাত্রসমাজের ভূমিকার কথা স্মরণ করে বিবৃতিতে বলা হয়, 'ক্ষমতাসীন দল পরপর তিনটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন এবং নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমসহ অন্যান্য জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেদের স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত করেছে। ফলে ছাত্র বিক্ষোভ এখন স্বৈরাচারী নিপীড়ন, দুর্নীতি ও সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আমরা এটাকে সর্বান্তকরণে সমর্থন করি।'
এ অবস্থায় প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিসিএসএনএ'র পক্ষ থেকে বলা হয়, 'বিক্ষোভ প্রশমনে ব্যর্থতার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং এর প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করি ও নিন্দা জানাই, যার ফলে অনেক নিরীহ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। আমরা কর্তৃত্ববাদী নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অবিলম্বে এই ভয়াবহ সহিংসতা বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য বিদ্যমান সকল উপায় ব্যবহার করে।'
একইসঙ্গে এই আন্দোলনে 'সরকারের নির্দেশে নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর' জন্য বিচার দাবি করে দায়ীদের পদত্যাগ দাবি করেন বিবৃতিদাতারা। সেইসঙ্গে নিপীড়িত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে মোট ৫০ জন শিক্ষক, পিএইচডি গবেষক ও শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করেছেন।
এদের মধ্যে শিক্ষকরা হলেন, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের কমিউনিকেশন বিভাগের আনিস রহমান, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট অসওয়েগো'র খায়রুল ইসলাম, নিউইয়র্ক বার্ড কলেজের ফাহমিদুল হক, ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির, জাহেদুর আরমান, কর্নেল ইউনিভার্সিটির জামাল উদ্দিন, ক্রেইটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াসেক রহমান, ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা ইন হান্টসভিলে'র নূর ই মকবুল, ওয়েস্টার্ন ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির মোহাম্মদ হোসেন, জেমস ম্যাডিসন ইউনিভার্সিটির মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, গ্র্যান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটির ইমরান মাজিদ, সেন্ট্রাল নিউ মেক্সিকো কমিউনিটি কলেজের দিদারুল ইসলাম ও সাউথইস্ট মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির খাদিজা তুল জান্নাত।
পিএইচডি গবেষক ও শিক্ষার্থীরা হলেন- ইউনিভার্সিটি অব অ্যালাবামা'র শাহ জাহান শুভ, ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটির মুহাম্মদ জাকারিয়া, মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির বাচ্চু শেখ, মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির এ কে এম জামীর উদ্দীন, কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির মোঃ রেজাউল হক, ইউনিভার্সিটি অব নর্দান ইলিনয়'র মোস্তাক আহমেদ, বল স্টেট ইউনিভার্সিটির মো. সুমন আলী, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার মোহাম্মদ রশিদ, ইউনিভার্সিটি অব ওরেগন'র নিশাত পারভেজ, টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির সাজেদুল ইসলাম, ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটির নাজমা আখতার, ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যাল্ড'র নাঈমুল হাসান, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপি'র শেরিন ফারহানা মনি, দ্য ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট শিকাগো'র মুহাম্মদ রাশেদুল হাসান, পয়েন্ট পার্ক ইউনিভার্সিটির দাউদ ঈসা, ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমা'র আহমেদ শাতিল, বোওলিং গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটির সুদীপ্ত শর্মা, কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির আবু আহমেদ, ইউনিভার্সিটি অব মন্টানা'র নাজিফা ফারহাত, ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় শিকাগো'র প্রিয়াঙ্কা কুণ্ডু, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাস'র নুসরাত চৌধুরী, টেক্সাট টেক ইউনিভার্সিটির মিনহাজ উদ্দিন, ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমা'র এইচ এম মুর্তজা, ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড, কলেজ পার্ক'র মো. মাঈন উদ্দিন রনি, টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির মেহেদি হাসান, ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটির মো. খাদিমুল ইসলাম, ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির সুলতানা ইসমেত জেরিন, মিনেসোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ম্যানকাটো'র মো. হোসেন, ওয়েস্টার্ন মিশিগান ইউনিভার্সিটির হামজা মোস্তফা, ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডার'র মুশফিক ওয়াদুদ, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপি'র রুবালিয়া জান্নাত, সাউদার্ন মিস'র হাসান ফয়সাল, ইউনিভার্সিটি অব নেভাদা রেনো'র নূর হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস আর্মহার্স্ট'র গোপা কাইজার, নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটির মোতাসিম বিল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড'র মোহাম্মদ আলী, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপি'র আসাদুজ্জামান ও ইউনিভার্সিটি অব আরকানকাস'র ফারজানা ফাহমি।
| কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছে উত্তর আমেরিকায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারস ইন নর্থ আমেরিকা (বিসিএসএনএ)। |
international | কুয়েতে শিশু-কিশোরদের রং তুলিতে বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ | কুয়েতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজন করেছে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা।
গত শুক্রবার রাজধানী কুয়েত সিটিতে দূতাবাসের হলরুমে প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা অংশ নেয়।
তিন গ্রুপে শিশু-কিশোররা ছবিতে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে তুলে ধরে।
কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মো. মুনিরুজ্জামান, মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেন, কাউন্সিলর ইকবাল আক্তার, তৃতীয় সচিব আবদুল লতিফ ফকির ও বাংলাদেশ কমিউনিটি সংগঠকরা।
| কুয়েতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজন করেছে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা। |
state | ‘ফ্লাইটে যাত্রীর মৃত্যু’: জরুরি অবতরণ না করে ৯ ঘণ্টা ধরে চললো বিমান | গত সোমবার সিলেট থেকে লন্ডনগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে মারা যান এক যাত্রী।
পাইলট-ইন-কমান্ড ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই যাত্রীকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার পর, পার্সার তার মরদেহটি নিয়ে একটি খালি সিটের সারিতে শুইয়ে দেয়।'
দ্য ডেইলি স্টারের হাতে আসা ফ্লাইট লগ অনুসারে, ব্রিটিশ নাগরিক শুয়াইবুর রহমান চৌধুরী প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে মারা যান।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ১১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট পর ফ্লাইটটি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
নিয়ম অনুসারে, যখনই ফ্লাইটের কোনো যাত্রীর মেডিকেল জরুরি অবস্থা হয়, তখনই উড়োজাহাজ থেকে মেডিকেল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে একটি এসওএস পাঠাতে হয় এবং সবচেয়ে নিকটতম বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য প্রস্তুত হতে হয়।
বিমান সূত্র জানায়, প্রতিটি বিমানবন্দর মেডিকেল জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকে। এই প্রক্রিয়ায় বিমানবন্দরের নিকটতম হাসপাতালগুলোকে সতর্ক রাখা হয় এবং অ্যাম্বুলেন্স ও প্যারামেডিকদের বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয়।
যাত্রী অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও পাইলট কাছের কোনো বিমানবন্দরে অবতরণ কেন করেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জরুরি অবতরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে বাঁচানো, জানাজার ব্যবস্থা করা নয়। আমরা যখন জানতে পারলাম, ততক্ষণে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।'
পাইলট জানান, ওই যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করার জন্য সেখানে কোনো ডাক্তার ছিল না। ফ্লাইট পার্সারের ওপর নির্ভর করেই শুয়াইবুর রহমান চৌধুরীকে মৃত বলে ধরে নেন তিনি।
ফ্লাইট পার্সার একজন প্রশিক্ষিত মেডিকেল পেশাদার নয়। তাদেরকে শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ফ্লাইট লগ অনুসারে, ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় ১২ নভেম্বর প্রায় সোয়া ১০টার দিকে উড্ডয়ন করে। জিএমটি/ইউটিসি অনুযায়ী সময় তখন সকাল ৪টা ১৬ মিনিট।
লগে বলা হয়েছে, 'আনুমানিক ৬টা ৫৫ ইউটিসিতে কেবিনের প্রধান ফ্লাইট পার্সার আমাকে একজন যাত্রী সম্পর্কে অবহিত করেন, (যিনি) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাকে অক্সিজেন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে কেবিনের প্রধান ফ্লাইট পার্সার জানান যে ওই যাত্রীকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।'
পার্সার পাইলটকে জানান যে ওই যাত্রীকে সকাল ৭টা ২৫ মিনিট (জিএমটি) নাগাদ মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়।
ফ্লাইট লগ অনুসারে, বিমানটি বিকাল ৪টা ১৬ মিনিটে (জিএমটি) হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানের লন্ডনে কান্ট্রি হেড ইরতেজা কামাল চৌধুরী বলেন, 'বিমান বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত করেনি।'
তিনি বলেন, 'আমরা শুধু জানি যে ফ্লাইটটি একজন মৃত যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছে। হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটটি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব নেয় এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাক্ষাৎকার নেয়। পুলিশ ও চিকিৎসা পেশাদাররা তাদের কাজ করেছেন। আমরা একটি লিখিত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি।'
তিনি জানান, হিথ্রো বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি থেকে যাত্রী নামানোর আগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেতে তাদের আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মরদেহটি নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
| গত সোমবার সিলেট থেকে লন্ডনগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে মারা যান এক যাত্রী। |
education | যেখানে কেটে যায় দিনের বেশিরভাগ সময় | সামাজিক বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের না হলেও ডর্ম থেকে কাছে হওয়ায় আমার বেশি সময় কাটে রোজ স্ট্রিটের উইলিয়াম টি লাইব্রেরিতে। কখনো রাত ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ হয়ে গেলে হেঁটেও চলে এসেছি। কখনো এমনো হয়েছে বিকেলে পড়তে গিয়েছি, বের হয়ে দেখি শান্ত বৃষ্টির রাতে ১১টা বাজতে দেরি নেই। তড়িঘড়ি করে বাসস্টপেজে দাঁড়িয়ে গেছি। বাসে ফেরার সময়ে ঘুমিয়েও পড়েছি, বাস-ড্রাইভার অসীম ধৈর্য নিয়ে আমাকে ডেকে তুলছেন।
এখানে এই এক সুবিধে। রাতে একদম ফাঁকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসস্টপেজেও নিরাপদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়। বাসে ঘুমিয়ে পড়লেও অমায়িক ড্রাইভার বিরক্ত হননি হাসিমুখে পড়াশোনার কথা জিজ্ঞেস করা ছাড়া।
ক্লাস আর ডর্মের বাইরে যেখানে আমার সবচেয়ে বেশি সময় কাটে, সেটা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি। পুরো ক্যাম্পাসে সব মিলিয়ে সাতটি লাইব্রেরি আছে, বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের জন্য।
এখানে লাইব্রেরির পরিবেশটাই একেবারে ভিন্ন। বিশাল লাইব্রেরি যেখানে কখনো আসনের অভাব হয় না। পাঁচ-ছয় তলা ভবন ছাড়াও যে লাইব্রেরিগুলো তুলনায় ছোট বা দুতিন তলা, সেখানেও বসার জায়গার অভাব হয় না।
দীর্ঘ সময় একজন এক নাগাড়ে সোজা হয়ে বসে থেকে পড়বে—এটা যন্ত্রের ক্ষেত্রে মানা গেলেও মানুষের ক্ষেত্রে নয়। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর সুবিধার কথা ভেবে লাইব্রেরির আসনগুলো এমনভাবে তৈরি, যাতে শুয়ে-বসেও পড়া যাবে। কারও যদি শ খানেক শিক্ষার্থীর মাঝে বসে পড়তে ভালো না লাগে, তাহলে একেবারে সাইলেন্ট কর্নারে একাকী পড়বার সুযোগও আছে। গ্রুপ স্টাডি করবার জন্যও আলাদা কর্নার আছে। গোলাকার কাঠের বিশাল টেবিলগুলোয় আলোচনা করে অনেক শিক্ষার্থীই পড়েন।
প্রতিটি ডেস্কেই ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার আলাদা ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া আলাদা করে ছোট ল্যাম্প রাখা আছে। অর্থাৎ, পড়তে বসে চোখের ক্ষতি করা যাবে না।
এ তো গেল পড়ার ব্যবস্থার কথা। দীর্ঘ সময় ধরে পড়তে পড়তে ক্ষুধা পাবে না তা তো হয়ই না। বিশেষ করে শীতের দিনে উষ্ণ কফি, চা তো প্রয়োজন হয়ই। তাই লাইব্রেরির মধ্যে একটা কর্নারে ক্যাফে, স্ন্যাকসের ব্যবস্থা আছে। অনেক সময় গেছে, পড়ার মাঝে বিরতি নিয়েছি এই ক্যাফেতে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে। আবার যখন বিকেল শেষে সোডিয়াম বাতিগুলো জ্বলে উঠেছে তখন যে যার ডেস্কে ফিরে গেছি। আবার রাতে একসঙ্গে ডর্মে ফিরেছি। ক্যাফে ছাড়াও ক্যাম্পাসের ডাইনিংগুলো একেবারে লাইব্রেরির এবং ডর্মের মাঝামাঝি। শুধু রাস্তাটুকু পেরোলে ডাইনিং।
কোনোমতেই এই গল্প, আড্ডার শব্দ যাতে বাইরে না আসে সেজন্য সাউন্ডপ্রুফ ব্যবস্থা তো এখানে সাধারণ ব্যাপার। এমনকি শিক্ষার্থীদেরও কখনো দেখিনি উচ্চস্বরে কথা বলতে। এখানে কেউ কারও কাজে বিঘ্ন ঘটাতে চায় না।
গ্রীষ্মের দিনে দেখেছি লাইব্রেরির সামনে বিশাল ঢালু মাঠটাতে শিক্ষার্থীদের রোদ পোহাতে। পড়ন্ত বিকেলে অনেকে একটা মাদুর পেতে শুয়ে বসে বইও পড়েন। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ওয়াইফাই সুযোগ তো আছেই। সব থেকে ভালো লাগে, বিভিন্ন পিয়ার রিভিউড জার্নালের এক্সেস পাওয়া যায় লাইব্রেরি থেকে। নিজের ল্যাপটপ সঙ্গে না থাকলে একেবারে নিচ তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেস্কটপগুলোয় বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজের মতো কাজ করা যায়। আর কোথাও কোনো সমস্যা হলে লাইব্রেরির কর্মীরা আছেন, ওনাদের শুধু গিয়ে বললেই হয় কী সমস্যা। কোনো অপেক্ষা করা ছাড়াই প্রত্যেকবার তারা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেন। এই যে হাজার হাজার বইয়ের ইলেক্ট্রনিক বইয়ের শেলফ, কোনো বই খুঁজে না পেলে তাদের শুধু বললেই হলো। প্রতিটি বইয়ের, জার্নালের যেমন হার্ডকপি আছে তেমনি লাইব্রেরি ওয়েবসাইটে সফটকপিও আছে। সেই ৯০-এর শুরু দিকের বই থেকে শুরু করে গত এক মাসের প্রতিটি জার্নালের কপি অনায়াসেই পাওয়া যায়।
মনে করছিলাম, দেশে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম খুব বেশি লাইব্রেরি যাওয়া হয়নি। অন্যতম কারণ ছিল হয়তো প্রয়োজনীয় বই খুঁজে পাইনি, নয়তো বসার জায়গা পাইনি। আর এখানে গ্র্যাজুয়েট জীবনের অন্যতম অংশই হলো লাইব্রেরি।
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| সামাজিক বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের না হলেও ডর্ম থেকে কাছে হওয়ায় আমার বেশি সময় কাটে রোজ স্ট্রিটের উইলিয়াম টি লাইব্রেরিতে। কখনো রাত ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ হয়ে গেলে হেঁটেও চলে এসেছি। কখনো এমনো হয়েছে বিকেলে পড়তে গিয়েছি, বের হয়ে দেখি শান্ত বৃষ্টির রাতে ১১টা বাজতে দেরি নেই। তড়িঘড়ি করে বাসস্টপেজে দাঁড়িয়ে গেছি। বাসে ফেরার সময়ে ঘুমিয়েও পড়েছি, বাস-ড্রাইভার অসীম ধৈর্য নিয়ে আমাকে ডেকে তুলছেন। |
international | মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু | মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন।
রোববার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের কাজাং কেটিএম পুনচাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বার্নামার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত সোয়া ১২টার দিকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেলাঙ্গর রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের (জেপিবিএম) পরিচালক ওয়ান মো. রাজালি ওয়ান ইসমাইল জানান, রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাজাং স্টেশন থেকে পাঁচজন কর্মীর একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
নিহতদের মরদেহ রেল ট্র্যাকের পাশে পড়েছিল। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নিতে মালয়েশিয়ান পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
| মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন। |
state | মালদ্বীপে পানিতে ডুবে বাংলাদেশির মৃত্যু | মালদ্বীপে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে মালদ্বীপের রাজধানীর মালের কাছে ভিলিগিলি দ্বীপে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মালদ্বীপে একটি মাছ ধরার খামারে কাজ করতেন সাইদুল। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতেও মাছ ধরতে গিয়ে পানির নিচে ড্রাইভিংয়ের সময় তলিয়ে যান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মো. আলাউদ্দিনের বড় ছেলে সাইদুল আট বছর আগে মালদ্বীপে যান।
| মালদ্বীপে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। |
international | গ্রিসে জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন | গ্রিসে উদযাপিত হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি শুভ জন্মাষ্টমী।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে গ্রিসে বসবাসরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন 'হিন্দু কমিউনিটি ইন গ্রিস' এর নেতারা বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করেছেন।
এ উপলক্ষে এথেন্সের ওমোনিয়ায় অবস্থিত শ্যাম মন্দিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিন্দু কমিউনিটি ইন গ্রিসের নেতারা। মন্দিরে পূজারী ও ভক্তবৃন্দ সমবেত হয়ে ধর্মীয় অর্চণার মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি পালন করেন।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এথেন্সে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করে হিন্দু কমিউনিটি ইন গ্রিস। এই শোভাযাত্রায় অংশনেন এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম সচিব বিশ্বজিৎ কুমার পালসহ অনেকেই।
এথেন্সের ওমোনিয়া কেন্দ্র থেকে শুরু করে সিনতাগমাতে অবস্থিত গ্রিক সংসদ ভবন পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে শোভাযাত্রায় সম্মিলিত হয়।
প্রবাসে বসবাস করেও ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আবহমান বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরার প্রয়াস অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন হিন্দু কমিউনিটির নেতারা।
লেখক: গ্রিসপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
| গ্রিসে উদযাপিত হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি শুভ জন্মাষ্টমী। |
international | উইন্ডশিল্ডে ফাটল, মাঝ আকাশ থেকে দুবাই ফিরে গেল বিমানের ড্রিমলাইনার | যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে দুবাই ছাড়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখা দেওয়ায় ফ্লাইটটি আবার দুবাই ফিরে গেছে।
আজ রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি ঢাকার উদ্দেশে দুবাই ছাড়ে।
২৪৪ যাত্রীসহ বিজি-০৩৪৮ ফ্লাইটটি ওমানের আকাশসীমায় পৌঁছানোর পর উড়োজাহাজটির ককপিটের গ্লাসে ফাটল দেখা দেয় বলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানায়।
পরে ফ্লাইটটি দুবাই ফিরে যায়। তবে যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে বিমানের আরেকটি উড়োজাহাজ দুবাই গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিমানের জনসংযোগের মহাব্যবস্থাপক বসরা ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইট দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।'
এর আগে, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ঢাকা থেকে ২৯৭ জন যাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটির উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখা দেয়।
জুনে চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবিগামী বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৭ ফ্লাইটটির উইন্ডশিল্ড ফাটল দেখা দেওয়ায় ঢাকায় জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ককপিটের গ্লাস ফাটল দেখা দেওয়ায় বিমানের বোয়িং-৭৩৭ ফ্লাইট মালয়েশিয়ায় অবতরণ করে।
একই বছরের আগস্টে আরেকটি বোয়িং ড্রিমলাইনার দোহা যাওয়ার সময় মাঝ আকাশে একই সমস্যার সম্মুখীন হয়। পরে সেটি ভারতের আকাশসীমা থেকে ঢাকায় ফেরে।
| যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে দুবাই ছাড়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখা দেওয়ায় ফ্লাইটটি আবার দুবাই ফিরে গেছে। |
international | মালয়েশিয়ায় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর ইসলাম জয়ের মৃত্যু | মালয়েশিয়ায় পলাতক ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় কুয়ালালামপুরে মারা গেছেন।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ১২ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে একটি তালাবদ্ধ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পুডু থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। সোমবার দুপুরে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
জয় এত দিন তারেক রানা পরিচয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিতে হতো। গত ১২ এপ্রিল সকালে তার গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলিং বেল বাজানোর পরও সাড়া না পেয়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে থানাকে অবহিত করেন।
পুলিশ দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইউকেএম হাসপাতালে পাঠায়। ওই হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ফারিদা মুহা নূর ময়নাতদন্ত করেন।
ইউকেএম হাসপাতালের অধ্যাপক ফারিদা মুহা নূরের একজন সহকর্মী জানিয়েছেন, জয়ের এক বোন মরদেহ নিতে মালয়েশিয়ায় যান। তবে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের মরদেহ গ্রহণ করতে লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়। সেটা হাসপাতালে জমা দিয়ে তিনি মরদেহ গ্রহণ করেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নব্বইয়ের দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত-হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
সে সময় তাদের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকাণ্ড, দুটি হত্যাচেষ্টা, মারাত্মক জখম ও চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অনেকগুলো অভিযোগ ছিল।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে ২০০০ সালে গ্রেপ্তার হন জয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখান থেকে তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান। পরবর্তীতে আবার ভারতে ফিরে আসেন।
ভারতে থাকাকালে তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল জয়ের বিরুদ্ধে 'রেড কর্নার নোটিশ' জারি করে।
২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমেদ খুনের ঘটনায় নতুন করে তার নাম আসে। অভিযোগ রয়েছে, ২০০৭ সালে রাজধানীর গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিতে গুলির ঘটনায়ও জয়ের সম্পৃক্ততা ছিল। ওই বছর তিনি সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন এবং কিছু দিন জেল খেটে বেরিয়ে কানাডায় চলে যান।
কানাডায় জয় 'এসজে ৭১' নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। সেখানে রানা অ্যাজাক্স নামে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। ২০১৫ সালে কানাডা পুলিশ তার ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে।
২০১৯ সালে কানাডার নির্বাচনের আগে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস করে আসছিলেন।
| মালয়েশিয়ায় পলাতক ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় কুয়ালালামপুরে মারা গেছেন। |
international | দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার পদত্যাগ | দুর্নীতির অভিযোগে নিজের চিফ অব স্টাফ গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করেছেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা।
লিথিয়াম উত্তোলন ও হাইড্রোজেন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিওর চিফ অব স্টাফকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী কস্তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দেয় প্রসিকিউটর অফিস।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সোসার সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আন্তোনিও কস্তা।
তবে পদত্যাগ করার আগে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৬২ বছর বয়সী কস্তা।
তিনি বলেছেন, 'আমি বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করি। যদি সন্দেহজনক কিছু থাকে, বিচারব্যবস্থা সেটি কোনো বাধা ছাড়াই দেখতে পাবে। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই।'
প্রেসিডেন্ট মার্সেলো তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পর্তুগালের বিরোধীদল এ দুর্নীতির ঘটনায় পুরো সরকারের পদত্যাগ চেয়েছে।
দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির অবকাঠামোমন্ত্রীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পর্তুগালের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামে হওয়া এ দুর্নীতির বিষয়টি দেখছে সুপ্রিম কোর্ট।
যে হাইড্রোজেন ও লিথিয়াম উত্তোলন প্রকল্পে দুর্নীতির জেরে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন তাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়ন আছে।
| দুর্নীতির অভিযোগে নিজের চিফ অব স্টাফ গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করেছেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা। |
entertainment | ভেনিসের ঈদ | ইতালির জলকন্যা ভেনিসে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে ১০ এপ্রিল। দুটি খোলা মাঠসহ শহরের অন্তত ছয়টি জায়গায় ১৮টি ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদের নামাজে বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
ভেনিসের মেসত্রে ও মারগেরার এসব ঈদ জামায়াত শুরু হয় ভোর সাড়ে ৬টা থেকে। এ বছর কর্মদিবসে ঈদ হওয়ায় অনেকে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিতে পারেননি। তারা প্রথম জামায়াতে নামাজ আদায় করে ছুটেছেন কর্মস্থলে।
যারা ছুটি নিতে পেরেছেন, তারা প্রায় সবাই ট্র্যাডিশনাল পোষাকে ঈদের জামায়াতে শরিক হন। জামায়াতগুলোয় অভিভাবকদের সঙ্গে অনেক শিশু-কিশোরকেও অংশ নিতে দেখা যায়।
মেসত্রের পিরাগেত্তো পার্কে প্রধান ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। সেখানে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি শরিক হন।
এ জামায়াতের ইমামতি করেন মাওলানা সাদেক আহমদ। তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করেন এবং কমিউনিটির উদ্দেশে বলেন, 'প্রত্যেক অভিবাসীর উচিত স্থানীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসীদের আচরণ এমন হওয়া উচিত, যাতে স্থানীয়রা মুসলিম আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়।'
তিনি বলেন, 'অল্প কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মানুষের জন্য আমাদের কমিউনিটির প্রায় ২০ বছরের অর্জন নষ্ট হতে দিতে পারি না। ইতালির স্থানীয় প্রশাসনসহ সব মহলে বাংলাদেশি কমিউনিটির সুনাম রয়েছে, যা একদিনে তৈরি হয়নি। তিলে তিলে আমরাই এটা গড়ে তুলেছি। এটা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।'
ঈদের নামাজ শেষে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের আড্ডা জমে উঠে। বিকেলে পরিবার নিয়ে সবাই পার্কসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় জমান।
এ বছর ইতালির মুসলিম কমিউনিটি থেকে ঈদের দিনে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
তবে ছুটি ঘোষণা করা না হলেও অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ঈদ উদযাপনের জন্য মুসলিম শিক্ষার্থীরা বাসায় থাকতে পারবে।
ইতালির রাজধানী রোম, মিলানো, নাপোলিসহ ছোট-বড় প্রায় ৬২টি শহরে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব জামায়াতে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মুসলিম অভিবাসী অংশগ্রহণ করেছেন।
| ইতালির জলকন্যা ভেনিসে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে ১০ এপ্রিল। দুটি খোলা মাঠসহ শহরের অন্তত ছয়টি জায়গায় ১৮টি ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। |
international | মেক্সিকোতে জাতীয় শোক দিবস পালন | মেক্সিকোতে যথাযথ মর্যাদা, গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
১৫ আগস্ট রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত কর্মসূচির শুরুতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। এর আগে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়।
দিবসের আলোচনার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ ছাড়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ডের ওপর তথ্যচিএ 'বাঙালির কালো রাত্রি' দেখানো হয় এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ কমিউনিটি সংগঠক ও দূতাবাস কর্মকর্তারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বক্তারা বাঙালির প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্যে আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, 'বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের স্বাধিকার, স্বায়ত্তশাসন, ন্যায্যদাবি আদায় ও আমাদের একটি মানচিত্র ও পতাকা উপহার দেননি; বরং পুরো বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য তিনি ছিলেন সংগ্রামের অনন্য অনুপ্রেরণা।'
'স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিজনদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে মানবিক বোধসম্পন্ন যেকোনো মানুষকে ব্যথাতুর করে তোলে', বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টা, নিরস্ত্রীকরণ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর মূল্যবোধ সমুন্নত রেখেছে।
আলোচনার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাদের পরিবারের সব সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
| মেক্সিকোতে যথাযথ মর্যাদা, গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। |
international | ফেরাউনের রাজপ্রাসাদ | মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে নীলনদ উপত্যকায় ঐতিহাসিক লোক্সর শহরে অবস্থিত ফেরাউনের রাজ প্রাসাদ ও উপাসনালয় 'কারনেক টেম্পল'।
কারনাক টেম্পল বা মন্দির মূলত কয়েকশ নিদর্শন নিয়ে গঠিত একটি টেম্পল কমপ্লেক্স। মিশরের প্রাচীন রাজধানী থিবস বা তেবশ। এটাই প্রাচীন মিশরের ফারাওদের রাজধানী শহর। পৃথিবীর প্রাচীন রাজধানী ম্যানুফেস বা মানাফের পরে থিবস রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পায়, যার আরও বেশ কিছু নাম রয়েছে।
আরেকটি নাম মাদিনাতুত তিবা এবং এই শহরে প্রবেশে চারদিকে ১০০টি প্রবেশদ্বার ছিল বিধায় এর আরেকটি নাম মাদিনাতু মিয়াতি বাবিন। অর্থাৎ ১০০ দরজার শহর। লোক্সর মূলত ইংরেজদের দেওয়া নাম। মিশরীয়রা এই শহরকে উকসুর নামে ডাকে। এর অর্থ কসরুন, যার অর্থ রাজপ্রাসাদ। কসরের বহুবচন উকসুর। আর এই উকসুর শব্দটি ইংরেজিতে ভাষাগত পরিবর্তন হয়ে হয়েছে লোক্সর।
জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শন কারনেক মন্দিরটির প্রথম নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল হযরত ইউসুফের (আ.) যুগে ফারাও রাজা চতুর্থ আমেন হোতেপ তথা আখনাতুনের হাত ধরে। যিনি একমাত্র ফারাও বাদশাহ আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছিলেন এবং একত্ববাদী স্রষ্টায় বিশ্বাস করতেন।
এই ঐতিহাসিক কারনাক টেম্পলটি অবকাঠামোগত পূর্ণতা পেয়েছিল ফারাও রাজা প্রথম থুতমোসের সময়। এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন বিখ্যাত ফারাও রানি হাপসেপসুট। প্রথম রামসিস ও তার পুত্র সেখানে হাইপোস্টাইল হল নির্মাণ করেন।
ফারাও দ্বিতীয় রামসিস আল-কুরআনে (ফেরাউন নামে যাকে নামকরণ করা হয়েছে) এর সময় এটার উন্নয়নে বিপ্লব সাধিত হয়। হযরত মুসার (আ.) সময়ে ফারাও রাজা ছিলেন 'রামসিসদ্য গ্রেট', যার স্ত্রী ছিলেন নিফারতারি, যিনি ইসলামী পরিভাষায় হযরত আছিয়া (আ.) হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত।
এই কারনাক টেম্পল মূলত তৈরি হয়েছিল ফারাওদের সূর্য দেবতা আমুনরার উপাসনার জন্য। ফারাও রাজাদেরকে বিবেচনা করা হতো দেবতা আমুনের সন্তান হিসেবে। তাই দেবতার পাশাপাশি ফারাও রাজাদের উপাসনায় সাধারণ লোকজন তাদের পায়ে লুটিয়ে পড়ত।
সেই সময়ে ২৫০ জন পুরোহিত ও ৩০০ কর্মী এই মন্দিরে অবস্থান করত, যারা সর্বদা এখানে টেম্পলের নিরাপত্তায় ব্যস্ত থাকতো। প্রতিদিন শত শত কিলোমিটার পথ পাড়ি জমিয়ে উপাসকরা এখানে ভিড় জমাত। আশপাশের ৬০টি নুবিয়ান গ্রাম থেকে কর আদায় করে টেম্পলটি পরিচালনা করা হতো।
এখানে এত পরিমাণ রাজপ্রাসাদ, টেম্পল আর প্রাচীন ফারাও স্থাপনা যে, এই শহরের যে দিকেই যাবেন সেখানেই ঐতিহাসিক কোনো না কোনো নিদর্শন পাবেন। তাই এর নাম হয়েছে রাজ প্রাসাদের শহর।
খ্রিষ্টপূর্ব ১৯৯১ সালে থিবসে শুরু হয় সূর্য দেবতার কর্ণক মন্দিরের কাজ। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার বছর ধরে এর নির্মাণকাজ চললেও, এর সবচেয়ে বেশি সংস্কার হয়ে উনবিংশ রাজবংশের দ্বিতীয় রামেসিসের (বাইবেল ও কোরানে বর্ণিত ফেরাউন) সময়ে।
| মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে নীলনদ উপত্যকায় ঐতিহাসিক লোক্সর শহরে অবস্থিত ফেরাউনের রাজ প্রাসাদ ও উপাসনালয় 'কারনেক টেম্পল'। |
education | উচ্চশিক্ষায় ‘সিঙ্গেল’ নারীদের জন্য... | মানুষের তো কত রকমের স্বপ্নই থাকে। কেউ বলেন একেকটি স্বপ্নের সীমা আকাশসম। আবার অনেকে এই সীমাকেও ছাড়িয়ে তুলনা করেন। শুনতে সারাদিন 'মুখ ডুবিয়ে বই' পড়ার মতো শোনালেও আমার স্বপ্ন ছিল পশ্চিমের মহাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। ঢাকা বিদ্যালয়ে থাকাকালে সেই প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকেই, কৈশোর বয়সে যখন চারপাশের পরিবেশ খুব প্রতিকূল ঠেকে তখন এই ইচ্ছা আরও প্রবল হয়।
বিভিন্ন লেখকদের পাতা কিংবা টেলিভিশনের পর্দা থেকে মনে হত, কত স্বাধীনতাই না আছে শীতপ্রধান সেসব দেশে। ভাগ্যের ফেরে আমার শিক্ষকতা পেশায় আসা এবং এই পেশায় বর্তমানে উচ্চশিক্ষা 'বাধ্যতামূলক'। যদিও স্বপ্নের সেই 'স্বনামধন্য' বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উচ্চশিক্ষার জন্য যাতায়াত না হলেও, যে ক্যাম্পাসে আছি সেখানে অন্তত নিজের মতো করে গুছিয়ে চলার চেষ্টা চলমান।
আমি যখন উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শুরু করি, তখন এই তালিকায় নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা আসলে খুব বেশি ছিল না। পরিবার থেকেও শুরুতে নেতিবাচক মনোভাবই ছিল প্রবল। এখন যুগের পরিবর্তনে এই প্লট অনেকটাই বদলে গেছে, যা আসলেই উৎসাহ জোগায়। এরপর দেশের বাইরে নতুন একটি পরিবেশে, সংস্কৃতিতে যখন পৌঁছে যাওয়া হয়, তখন শুরু হয় নতুন আরেক ধাপ- খাপ খাওয়ানোর। এই যাত্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা একেকরকম।
কখনো ক্লাসে দেখেছি সহপাঠী ৫ বছরের সন্তানকে পাশে বসিয়ে নোটবুকে লেকচার তুলছে। আবার কিছু 'সিঙ্গেল মাদার' সহপাঠীকে দেখেছি একাই ক্লাস, লেকচার থেকে গবেষণা, ঘরদোর কী নিপুণভাবে সামলে নিচ্ছে। তাও বিরক্তির লেশমাত্র নেই। কেউ কেউ সাত সকালেও ক্লাসে পড়াতে যাওয়ার সময় নিজেকে পরিপাটি করে নিচ্ছে। আর আমি মাইনাস ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তুষারপাতে জ্বর নিয়ে ভাবছি 'এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় বাজার কবে করা যাবে'। যুক্তরাষ্ট্রে যাদের নিজস্ব গাড়ি নেই তাদের জন্য ভীষণ ভাবনারই বটে। তাছাড়া এখানে ভারী তুষারপাতের সময় সবকিছু কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমন নতুন এক পরিবেশে মাথা গোঁজার ঠাই করে নেওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ততটা সহজ নয়।
বিদেশে একজন 'সিঙ্গেল' নারী শিক্ষার্থীর দায়িত্ব এবং কাজ বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্র ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যিক। ছোটকাল থেকেই এখানে যে যার মতো স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠে। ব্যক্তিস্বাধীনতা এখানে অনেক সংবেদনশীল। কিন্তু আমরা যারা ভিন্ন পরিবেশ এবং সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠি তাদের জন্য এই পরিবেশ প্রায়শই একাকীত্ব তৈরি করে। সেখানে একজন নারী তবুও 'সিঙ্গেল', সেই হিসেবে বেশ কিছু প্রতিকূলতা তাকে পোহাতেই হয়। 'কেন একা পড়তে এলাম?', 'কেন এখনো পরিবার গুছিয়ে নিচ্ছি না'- এমন প্রশ্নও শুনতে হয়েছে কদাচিৎ।
এরপরও মনকে বোঝাতে হয়, যেখানে যে কয়টা বছর থাকব, মনমতো গুছিয়ে নিতে পারলেই হয়। গুছিয়ে নিতে গেলে প্রয়োজন হয় কেনাকাটার। ইংরেজি বিভিন্ন সিরিজে দেখতাম, ডর্মে উঠার সময় বিছানার ফ্রেম থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব একাই বয়ে নিতে হয়। আমাকেও বিশাল ব্যাগ, নতুন কেনা জিনিসপত্র এভাবে বহন করতে হয়েছে। বিশেষ করে ২৮ ঘণ্টার যাত্রা, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলান্টিয়ার ঠিক করে নতুন বাসা নেওয়া এবং তাকে পরিপাটি করা। প্রথমদিকে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্য কিছুটা ভারী লাগাই স্বাভাবিক। শুরুর দিকে এমনও সময় গেছে, যখন দুটি কথা বলার মানুষও পাওয়া যায়নি।
অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় পড়তে আসেন, আসেন কাজের সংস্থানে। সেই নতুন যাত্রাটাও নেহায়েত কম ঝক্কির নয়। তবে সুখের বিষয় মনে হয় দেশেই তো আছি। সংস্কৃতি, যাতায়াত ব্যবস্থা কিংবা খাদ্যাভ্যাসে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে হয় না। কিন্তু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভাবতে হয় বিমানের টিকিট খরচ নিয়েও। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে পুরো ক্যাম্পাস যখন ফাঁকা হয়ে যায়, তখন বাড়ি ফেরার ইচ্ছা থাকলেও তাকে উপেক্ষা করে যেতে হয়। তখন মনে প্রশ্নের উদয় হয়, 'আমার নিজের দেশেই যদি গবেষণার এত সুযোগ থাকত।'
ধর্মীয় উৎসবগুলোতে বাড়ির কথা মনে পড়ে বেশি। ক্লাস শেষ করে ইফতারের সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে বহুদিন। ঈদের দিনের সকালেও করতে হয়েছে অফিস। তবে একদিক থেকে অফিস করাকেই যৌক্তিক মনে হয়েছে, কেননা ডর্মে যাদের পরিবার-পরিজন কেউ নেই, তাদের কাজে ডুবে থাকাই বরং ভালো। তবুও মনকে প্রবোধ দেওয়া গেছে এই বলে যে, আধুনিক বিজ্ঞানের এই যুগে বিনা খরচে ভিডিও কলের সুযোগ তো অন্তত রয়েছে।
এতকিছুর পরও ভালো লাগে, যখন দেখি আমার দেশের নানা প্রান্ত থেকে মেয়েরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে আসছে। অন্যান্য দেশ থেকেও নারী শিক্ষার্থীরা আসে, তাদের মধ্যে মেলবন্ধন হয়। নতুন দেশে এতকিছুর ভিড়ে নিজেকে আলাদাভাবে পরিচয় করানোটাও চাট্টিখানি কথা নয়। একটা পরিচয়পত্রের পিছে লুকানো যত চেষ্টা, ধৈর্য আর অনিশ্চয়তাকে উপেক্ষা করার সাহস আছে, তার জন্য প্রতিটি মানুষকেই অভিবাদন।
নাদিয়া রহমান: প্রভাষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
| মানুষের তো কত রকমের স্বপ্নই থাকে। কেউ বলেন একেকটি স্বপ্নের সীমা আকাশসম। আবার অনেকে এই সীমাকেও ছাড়িয়ে তুলনা করেন। শুনতে সারাদিন 'মুখ ডুবিয়ে বই' পড়ার মতো শোনালেও আমার স্বপ্ন ছিল পশ্চিমের মহাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। ঢাকা বিদ্যালয়ে থাকাকালে সেই প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকেই, কৈশোর বয়সে যখন চারপাশের পরিবেশ খুব প্রতিকূল ঠেকে তখন এই ইচ্ছা আরও প্রবল হয়। |
international | কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ | কুয়েতের আল-মাতলা এলাকায় ৩ সপ্তাহ আগে ছুরিকাঘাতে এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার অভিযোগে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুয়েত ক্রিমিনাল সিকিউরিটি সেক্টর।
তবে হত্যার ঘটনায় পঞ্চম সন্দেহভাজন এখনো পলাতক।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি গ্রেপ্তারকৃতদের সহকর্মী ছিলেন। বাংলাদেশিকে হত্যা করার কথা তারা স্বীকার করেছে।
খাইতান, ওয়াফরা, জিলিব ও আল-মাতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
মাতলা এলাকার একটি ভবনের ভেতরে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়।
| কুয়েতের আল-মাতলা এলাকায় ৩ সপ্তাহ আগে ছুরিকাঘাতে এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার অভিযোগে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুয়েত ক্রিমিনাল সিকিউরিটি সেক্টর। |
international | মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা: চিকিৎসাধীন আরও ১ বাংলাদেশির মৃত্যু | মালয়েশিয়া পেরাক রাজ্যের কাম্পার এলাকার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আরও এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। এ নিয়ে বুধবারের এ দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত মোহাম্মদ সোহেল আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বুধবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ঘুরতে বের হন মালয়েশিয়া প্রবাসী ৮ বাংলাদেশি। কাম্পার এলাকার এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তাদের বহন করা গাড়িটি।
সে সময় পেছনে থাকা লরির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনজন। তারা হলেন-আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ, আলী আসকার ও মো. সোহেল মিয়া।
দুর্ঘটনায় আহত সোহেল আজ স্থানীয় তেলুক ইন্তান হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার জনে। নিহত সবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, রাজধানী কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে হঠাৎ টায়ার ফেটে গেলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। গাড়িটি সড়কের বাম পাশে ছিটকে পড়লে আরেক লরি সেটিকে ধাক্কা দেয়।
দুর্ঘটনায় নিহত আবদুল্লাহ ছাড়া বাকি সবাই ক্যামেরন হাইল্যান্ডসের একটি বাগানে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানায় দেশটির পুলিশ।
| মালয়েশিয়া পেরাক রাজ্যের কাম্পার এলাকার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আরও এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। এ নিয়ে বুধবারের এ দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। |
entertainment | মালয়েশিয়ায় বড়দিনের বর্ণিল উদযাপন | খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস। অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়াতেও এই ধর্মের অনুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন।
দিনটি উপলক্ষে দেশটির রাজা ইয়াং ডি-পার্টুয়ান আগাং আল-সুলতান আব্দুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ এবং রানি পারমাইসুরি আগোং তুঙ্কু আজিজাহ আমিনাহ মাইমুনাহ ইস্কান্দারিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ফাদিল্লাহ ইউসুফ, উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. আহমদ জাহিদ হামিদি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মন্ত্রী (ফেডারেল টেরিটরি) ড. জালিহা মুস্তাফা।
এছাড়া যোগাযোগমন্ত্রী ফাহমি ফাদজিল, নারী, পরিবার ও সম্প্রদায় উন্নয়ন মন্ত্রী দাতুক সেরি ন্যান্সি শুকরি, পরিবহন মন্ত্রী অ্যান্টনি লোক, অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী রাফিজি রামলি, বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী তেংকু দাতুক সেরি জাফরুল আবদুল আজিজ ও প্ল্যান্টেশন ও কমোডিটি মন্ত্রী দাতুক সেরি জোহরি আবদুল গনি সহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাজা ও রানি তাদের শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছেন, 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ মালয়েশিয়া। আবহমানকাল ধরে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই মহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।'
দেশটির প্রতিটি প্রদেশে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে আজ।
রাজধানীর প্রতিটি গির্জা ও এর আশপাশ সাজানো হয়েছে রঙিন বাতিতে। জরি দিয়ে গির্জার ভেতরের অংশ সুসজ্জিত করা হয়েছে।
| খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস। অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়াতেও এই ধর্মের অনুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। |
state | দেশ থেকে সরাসরি বিদেশি এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রি বন্ধ, বাড়ছে দাম | এখন তারা অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির (ওটিএ) কাছে টিকিট বিক্রি করছে।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে বেশ কয়েকটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এর একটি হলো স্থানীয় এজেন্টদের কাছে টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়া। বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের, বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিকরা চাপে পড়ছেন।
অন্যটি হলো, প্রায় তিন হাজার ৬০০ স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্টদের ব্যবসা দ্রুত লোকসানে পড়ছে।
বিদেশি এয়ারলাইনস ও অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ সরকারি কর্মকর্তাদেরও বিব্রত করছে এবং বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।
উদাহরণ স্বরূপ, গত ডিসেম্বরে রিয়াদে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) এয়ার সার্ভিস নেগোসিয়েশন ইভেন্টে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান ও কয়েকটি দেশের এয়ারলাইনসের প্রতিনিধিরা একত্রিত হন।
সেখানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানের কাছে তারা জানতে চান, বাংলাদেশে আটকে থাকা অর্থ তারা কবে নাগাদ ফেরত পাবেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া এক বাংলাদেশি কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'সবার সামনে তারা আমাদের (বেবিচক) প্রধানকে তাদের আটকে থাকা অর্থ ছাড় করতে বলেছিল, যা আমাদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে।'
প্রায় ৩০০ এয়ারলাইনসের একটি সংস্থা আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। এর মাধ্যমে আকাশপথে বিশ্বের ৮৩ শতাংশ পরিবহন হয়। টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের অর্থ দিতে না পারায় গত বছরের জুনে সংস্থাটি বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় 'সর্বোচ্চ খারাপ' হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
তালিকার প্রথমে আছে নাইজেরিয়া।
বৈদেশিক রিজার্ভ কমতে শুরু করায় বাংলাদেশ বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে ধীর গতিতে মুনাফার অর্থ দিচ্ছে। আইএটিএ-তথ্য অনুসারে, গত বছরের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ২১৪ মিলিয়ন ডলার পাওনা ছিল।
গত ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদেশি এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, তবে তা এখনো ভয়াবহ। আমাদের আয় সঠিকভাবে পাঠাতে পারছি না। আমরা ওটিএ-তে চলে এসেছি, যেন মুনাফা পাঠাতে পারি।'
আরেকটি এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আগে ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে পারতাম এবং একটি নির্ধারিত ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের আয় পাঠাতে পারতাম। কিন্তু এখন ডলারের সংকট সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে।'
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আয়ের অর্থ পাঠাতে দেরি হলে লাভের পরিমাণ কমে আসে। কারণ দ্রুত টাকার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যায়।
বেবিচকের তথ্য অনুসারে, ৩২টি বিদেশি এয়ারলাইনস প্রতিদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৬০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (এটিএবি) মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ বলেন, 'পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এয়ার টিকিট ব্যবসা বিদেশি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্টদের হাতে চলে যাবে।'
তিনি বলেন, কয়েকটি রুটে টিকিটের দাম; বিশেষত নিউইয়র্ক, কানাডা ও লন্ডনের মতো দূরের পথে টিকিটের দামও ৫০ থেকে ১০০ ডলার বেড়েছে।
টিকিট বিদেশে বিক্রি হওয়ায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এটিএবি সভাপতি এসএন মঞ্জুর মুর্শেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো বাংলাদেশে কম ভাড়ায় টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রীদের বেশি দামে টিকিট কিনতে হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, এখন যে কোনো স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্টের কাছে ব্যাংকক যাওয়ার টিকিটের দাম প্রায় ২৫ হাজার টাকা। একই টিকিট ওটিএ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারে।
মঞ্জুর মুর্শেদ জানান, তারা বারবার বেবিচককে এই সমস্যার সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছেন।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাভিয়েশন ও ট্যুরিজম সংক্রান্ত এক জার্নালের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই এ সংকট চলছে।'
তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি এয়ারলাইনসকে তাদের আয়ের একটি অংশ পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে বেশির ভাগ এয়ারলাইনস বাংলাদেশে কম ভাড়ার টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছে।
'ফলে বাংলাদেশি যাত্রী ও স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্টরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন,' বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এতে বাংলাদেশের বদনাম হচ্ছে মত দিয়ে ওয়াহিদুল আরও বলেন, 'বাংলাদেশে সেবা দিতে আগ্রহী এয়ারলাইনসরা নিরুৎসাহিত হবে।'
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেবিচক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশে কয়েকটি এয়ারলাইনসের বিশাল বিনিয়োগ আটকে থাকায় কয়েকটি এয়ারলাইনস ও কয়েকটি দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধানরা আমাকে অনুরোধ করেছেন, যাতে আমরা তাদের আয় তাদের নিজ দেশে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করি।'
'আমরা ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছি।'
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'ডলার সংকটের কারণে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো তাদের আয় দেশে পাঠাতে পারছে না এমন তথ্য তার কাছে নেই।'
| এখন তারা অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির (ওটিএ) কাছে টিকিট বিক্রি করছে। |
international | কুয়েতে অবৈধ প্রবাসীদের সাধারণ ক্ষমা | দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে কুয়েত সরকার। ১৭ মার্চ থেকে তিন মাসের জন্য এ সুযোগ পাবেন দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ প্রবাসীরা।
সুযোগ কাজে লাগালে পুনরায় নতুন ভিসায় দেশটিতে ফিরতে পারবেন তারা।
কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, আকামা আইন লঙ্ঘনকারী অবৈধ প্রবাসীদের জন্য ১৭ মার্চ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে কুয়েত সরকার।
তিন মাস সময়সীমার মধ্যে অবৈধ প্রবাসীরা কোনো ধরনের জেল-জরিমানা ছাড়া নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। চাইলে আবার নতুন ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন কুয়েতে।
আবার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ করে বৈধ হয়ে আকামাও নবায়ন করার সুযোগও থাকছে তাদের জন্য।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা হলেও থাকছে কিছু বিধিনিষেধ। কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ থাকলে, তিনি সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন কি না, তা নির্ধারিত অফিসে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হবে।
সাধারণ ক্ষমার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যেসব অবৈধ অভিবাসী বৈধ হওয়ার সুযোগ হারাবে এবং কুয়েত ত্যাগ করবে না, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনা মহামারির মধ্যে কুয়েতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল।
দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় প্রায় ৩ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন অবৈধ, তা জানা যায়নি।
| দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে কুয়েত সরকার। ১৭ মার্চ থেকে তিন মাসের জন্য এ সুযোগ পাবেন দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ প্রবাসীরা। |
international | সিডনির বাংলাদেশ কনস্যুলেটে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন | সিডনিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
২৬ মার্চ কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বাঙালির অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে বিভিন্নভাবে যারা অবদান রেখেছেন তাদের জন্য করা হয় বিশেষ মোনাজাত। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
২৮ মার্চ রুপন্তি আকিদের উপস্থাপনায় স্থানীয় এক পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত হয় বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান।
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে অস্ট্রেলিয়ান আর্মি ব্যান্ড দল।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যসমূহ এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরে নানাবিধ জিআই পণ্যের প্রদর্শনী করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের তাৎপর্য তুলে ধরে কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ হতে আরও পণ্য আমদানি করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস বলেন, 'বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম।'
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম দেশ এবং বাংলাদেশ দারিদ্র্য নিরসন চমকপ্রদ ভূমিকা রেখেছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| সিডনিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। |
international | জাপানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ | জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩৭ জন। এখনো অনেকেই নিখোঁজ আছেন।
ইশিকাওয়া প্রিফেকচার সূত্রে সুজুতে ২০ জন, ওয়াজিমাতে ১৯ জন, নানাওতে ৫ জন, আনামিজুতে দুজন, হাকুইয়ে একজন এবং অন্যস্থানে আরও একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে নিগাতা প্রিফেকচারে ১৯ জন, তোয়ামা প্রিফেকচারে ২৪ জন, ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে ৮৫ জন, ফুকুই প্রিফেকচারে ৫ জন গিফুতে একজন, ওসাকাতে একজন এবং হিয়োগো প্রিফেকচারে দুজন রয়েছেন।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে টোকিও থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাপান সাগরের তীরে অবস্থিত ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
ভয়ে গতকাল রাতে অনেক মানুষ ঘুমাতে পারেননি। তবে আজ সকালে সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বাইরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হওয়ায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। যতই সময় যাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র ততই প্রকাশ পাচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর ক্রমাগত আফটারশক হচ্ছে। প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় বড় আকারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই শতাধিক স্থাপনায় আগুন লেগে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ ছাড়া, বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘরেও আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিছু ভাঙা বাড়ির নীচে মানুষ আটকা পড়েন। সুজু বন্দরে নোঙ্গরকৃত একাধিক জাহাজ ডুবে যায়।
রাস্তায় বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু রাস্তাঘাট একেবারে ভেঙে গেছে। পাহাড় ধ্বসে পড়েছে। কিছু এলাকায় লিকুইফেকশন হয়েছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। গ্যাস লিক হয়েছে। পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষ পানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িতে করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। মোবাইল সংযোগ বিঘ্নিত। আকাশপথ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ সকালে সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং সহায়তা দেওয়ার জন্য ইশিকাওয়াতে একটি জরুরি দুর্যোগ ত্রাণকেন্দ্রের সদর দপ্তর স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগের প্রভাব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দুর্যোগের শিকারদের জীবন বাঁচানো সময়ের বিরুদ্ধে একটি দৌড়। বেঁচে থাকা একটি প্রাণও যেন না ঝরে সেদিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।'
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সম্প্রচারকারী এনএইচকের তোলা ফুটেজে একটি সাততলা বিল্ডিং পাশের দিকে ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সেলফ ডিফেন্স বাহিনী একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করে এক হাজার কর্মীর মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং আরও ১০ হাজার কর্মী উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কাজে নিয়োজিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
| জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩৭ জন। এখনো অনেকেই নিখোঁজ আছেন। |
education | রেড রিভার গর্জে হাইকিং | যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার অন্যতম ভালো দিক হলো এখানকার আউটডোর অ্যাক্টিভিটিস। যার যেটা পছন্দ, সে সেদিকেই সময় দেয়। এই স্বাধীনতায় কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
প্রত্যেকেই এখানে বিভিন্ন আউটডোর অ্যাক্টিভিটিসে যুক্ত। ক্লাসের যে অধ্যাপক সপ্তাহের পাঁচদিনই গবেষণায় ডুবে থাকেন, ছুটির দিনে তাকেও দেখা যাবে খুব সাধারণভাবে কায়াকিং বা হাইকিং করতে। এখানে এ বিষয়টাই বেশ ভালো লাগে- কাজের মাঝেও কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনকে গুরুত্ব দিতে হয়।
শরতে এখানে চমৎকার আবহাওয়া থাকে। মৃদু বাতাস আর 'ফল কালার', যাকে বলা যায় শরতের রঙে রঙিন। অক্টোবরের নাতিশীতোষ্ণ এমনই এক দিনে আমরা কয়েকজন হাইকিংয়ে গিয়েছিলাম রেড রিভার গর্জে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আন্তর্জাতিক সেন্টার সেখান থেকেই এমন আয়োজন করা হয়।
সকাল ৭টা মানে একদম ৭টা। এই সময়ের কোনো নড়চড় নেই। আমরা প্রায় ২৫ জনের একটি মাঝারি দল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম কেন্টাকির এই রেড রিভার গর্জে। দুই পাশে সারি সারি বার্চ, পাইন গাছ আর ওপরে উজ্জ্বল নীল আকাশের মাঝে মসৃণ রাস্তা দিয়ে আমাদের দুটো গাড়ি এগিয়ে চলল। পথে একটুও ক্লান্তি লাগেনি কারও। কোনো ট্র্যাফিক বা হর্নের শব্দও আমাদের সহ্য করতে হয়নি।
রেড রিভার গর্জ মূলত একটি ন্যাশনাল ফরেস্ট, যার চারপাশে পুরোনো রক বা ক্লিফ রয়েছে। অর্থাৎ, বেলেমাটির প্রায় ২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের মতো। আর গর্জ হল মূলত এই বন আর পাথরগুলোর মাঝে বয়ে চলা ঝর্ণার পানি। অনেকেই এখানে রক ক্লাইম্বিং, জিপলাইনিং করতে আসেন গ্রীষ্ম থেকে শরতের সময়টাতে। তবে সেই যাত্রায় আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আঁকাবাঁকা সরীসৃপের মতো কখনো বেশ প্রশস্ত আবার পরক্ষণেই সংকীর্ণ পথটুকু পাড়ি দিয়ে 'আর্চ অব ট্রায়াম্ফ' এর চূড়ায় পৌঁছানো। যেখান থেকে তিন-চার মাইল পেছনে ফেলে আসা পুরো পথ, সারি সারি রক, ফুটতে থাকা নাম না জানা অসংখ্য বুনো ফুল সব একসঙ্গে দেখা যায়। ইন্ডিয়ান আর্চের সরীসৃপের মতো পাথুরে ট্রেইল পেরিয়ে যেই আর্চ অব ট্রায়াম্ফে পৌঁছলাম, পুরো শরতের লাল-কমলা-হলদে রঙ চোখে পড়ল। আমাদের ২৫ জনের যে দলটি কিছুক্ষণ আগেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল, তা আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম এই চূড়ায় উঠে।
ফেরার পথটি ছিল তুলনামূলক সহজ। আমরা অধিকাংশই হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম বলে আমাদের দল প্রধান ক্যারেন স্লেয়মেকার সংক্ষিপ্ত পথ বেছে নিয়েছিলেন। যখন এই আর্চের পথে যাত্রা শুরু করেছিলাম তখন সকাল ৯টার মতো বাজে, আর ফেরার সময় প্রায় পড়ন্ত বিকেল। ঝুপ করেই অন্ধকার আর কুয়াশা নেমে আসবে, তাই ঘড়ি ধরেই আমরা দল প্রধানকে অনুসরণ করলাম। নিচেই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল কাঠের তৈরি মনোরম লজ। চারপাশে ছিল আদিম বুনো একটা ঘ্রাণ। আধুনিকতার শহর, ক্যাম্পাসের কোলাহল থেকে কোথায় যেন এসে পড়েছি।
ফের তৈরি হয়ে আমাদের সন্ধ্যা এবং রাত কেটে যায় কুমড়োকে হ্যালোউইনের জন্য প্রস্তুত করতেই। কেননা কয়দিন পরই ছিল হ্যালোউইন। আমরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে একেকটি কুমড়োকে প্রস্তুত করছিলাম। সব শেষে ছোট্ট বাতি জ্বালিয়ে কাঠের বারান্দায় সবার হট চকোলেট হাতে আড্ডা। বাইরে জাঁকিয়ে কুয়াশা পড়ছে, তার মধ্যেই আমরা জবুথুবু হয়ে উদযাপন করছিলাম আমাদের শহর থেকে, যান্ত্রিক যত হিসাব-নিকাশ থেকে দূরে থাকা বনে ঘেরা এই সময়টিকে।
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার অন্যতম ভালো দিক হলো এখানকার আউটডোর অ্যাক্টিভিটিস। যার যেটা পছন্দ, সে সেদিকেই সময় দেয়। এই স্বাধীনতায় কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। |
international | মালয়েশিয়ার পার্লিসে ৪৫ বাংলাদেশি আটক | মালয়েশিয়ার পার্লিসে ৪৫ বাংলাদেশিসহ ৪৯ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্যের বুকিত চাবাং, মুকিম টিটি টিংগি, পাদাং বেসার এবং পার্লিসের একটি স্পোর্টস স্কুলের নির্মাণ সাইটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে ৪৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ ও একজন বাংলাদেশি নারী এবং ৩ জন ইন্দোনেশিয়ার ও একজন জন ভারতীয় নাগরিক।
আটকদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।
গভীর রাতে অভিযানের সময় জঙ্গলে ও খাটের নিচে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি অবৈধ অভিবাসীদের।
আজ শুক্রবার রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খায়রুল আমিন বিন তালিব এক বিবৃতিতে বলেন, 'ইমিগ্রেশন অ্যাকশন ইউনিট, পার্লিস জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের পর্যবেক্ষণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন পদমর্যাদার ১৭ জন অভিবাসন কর্মকর্তার একটি বাহিনী নিয়ে অপ সাপু নামের অভিযানে ১০১ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করার পর তাদের মধ্যে থেকে যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই এবং যারা মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত সময় অবস্থান করে আসছিল এমন ৪৯ জনকে আটক করা হয়।'
আটকদের বিষয়ে তদন্ত ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুয়ালা পার্লিস ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানান রাজ্য ইমিগ্রেশন পরিচালক।
পার্লিস রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বসবাসকারী, তাদের পাসপোর্টের অপব্যবহার এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত বিদেশিদের বিষয়ে মোটেও আপস করা হবে না।
অবৈধ বিদেশিদের নিয়োগকারী বা রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে অভিবাসন বিভাগ।
| মালয়েশিয়ার পার্লিসে ৪৫ বাংলাদেশিসহ ৪৯ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ। |
international | মেক্সিকোতে স্থায়ী শহীদ মিনার উদ্বোধন | ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মেক্সিকোতে উদ্বোধন করা হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। মেক্সিকোতে এটি প্রথম শহীদ মিনার।
মেক্সিকো সরকার ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটির নে পান্তলার সোর হুয়ানা জাদুঘর চত্বরে এই শহীদ মিনার স্থাপন করে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে গড়া এই মিনারে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসহ কিউআর কোড সম্বলিত একটি ফলকও স্থাপন করা হয়েছে।
৯ নভেম্বর ফিতা কেটে ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
যৌথভাবে উদ্বোধন করেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, এডোমেক্সের সংস্কৃতি সচিব নেলি মিনার্ভা ক্যারাস্কো গোডিনেজ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সমন্বয়ক হোসে পাবলো মন্টেমায়োর ক্যামাচো, আমেকামেকা সরকারী অঞ্চলের মহাপরিচালক টোনাটিউ মার্টিনেজ মারিস্কেল, আগ্নেয়গিরি উপত্যকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক সেবা বিভাগের মহাপরিচালক এস্টিবালিজ আগুয়াজো অর্টিজ, টেপেটলিক্সপার মেয়র আবেলার্দো রদ্রিগেজ গার্সিয়া, মেক্সিকো-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেপুটি রোজালিন্ডা ডোমিংগেজ ফ্লোরেস ও সদস্য হোসে মিগেল দে লা ক্রুজ লিমা।
এ সময় মেক্সিকো ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে সোর হুয়ানা জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, '২১ ফেব্রুয়ারির বিয়োগান্তক ঘটনাসহ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে মেক্সিকোর মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে এই শহীদ মিনার।'
শহীদ মিনারের জমি বরাদ্দ ও নির্মাণে সহযোগিতার জন্য মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ডেপুটি হোসে মিগেল দে লা ক্রুজ লিমা এবং মেক্সিকোপ্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে শিশু-কিশোরদের নিয়ে গড়া 'প্রাইমেরো সুয়েনো' সাংস্কৃতিক দলের বাংলাদেশের একুশের গানের সঙ্গে মনোরম নৃত্য পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে শহীদ দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপরে আলোকপাত করে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
| ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মেক্সিকোতে উদ্বোধন করা হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। মেক্সিকোতে এটি প্রথম শহীদ মিনার। |
education | ইন্ডিয়ানায় বল স্টেট ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা | যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইডলার অ্যাপার্টমেন্ট অফিসের কমিউনিটি হলে এই মিলনমেলা চলে।
মিলনমেলায় এ বছর ভর্তি হওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় বল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত বাংলাদেশি বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এই মেলনমেলা উপলক্ষে সাইডলার অ্যাপার্টমেন্ট অফিস কিছু সময়ের জন্য যেন হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। বাঙালি খাবার পরিবেশনা আর গল্প-আড্ডায় মেতে ওঠেন সবাই।
বল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিয়ানার মানসিতে অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসেন।
| যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। |
international | মিশরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন | মিশরে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় উদযাপিত হলো স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও শিশুদের বয়স-ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
রোববার (১৭ মার্চ) রাজধানী কায়রোতে দূতাবাস ভবনে আয়োজিত দিবসের কর্মসূচির শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ শুরুতেই সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
সামিনা নাজ বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। তিনি জাতিসংঘ শিশু সনদের ১৫ বছর আগেই ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন।
রাষ্ট্রদূতের প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধুর অসামান্য গৌরবময় কর্ম ও রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশু শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং তাদের মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠবে।
বয়স-ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা অংশ নেয়। রাষ্ট্রদূত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, শ্রমজীবীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
| মিশরে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় উদযাপিত হলো স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও শিশুদের বয়স-ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। |
economy | গ্রিসে বৈধতার সুযোগ পাবেন আরও ‘১৫ হাজার’ বাংলাদেশি | মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে গ্রিস সরকার অনিবন্ধিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (শ্রমকল্যাণ শাখা) বিশ্বজিত কুমার পাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাইলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির আগে যেসব বাংলাদেশি ইউরোপের এ দেশটিতে প্রবেশ করেছেন, তাদেরকে প্রথমে বাংলাদেশ মিশনে নিবন্ধন করতে হবে।'
ধারণা করা হচ্ছে, গ্রিসে বসবাসরত প্রায় ১৫ হাজার অনিবন্ধিত বাংলাদেশি অভিবাসী এই সুযোগটি গ্রহণ করবেন। বর্তমানে প্রায় ২৮ হাজার বাংলাদেশি গ্রিসে বসবাস করছেন।
গ্রিসে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদের বরাত দিয়ে দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, বাংলাদেশ মিশন আশা করছে গ্রিক মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে এবং ১৫ সেপ্টেম্বরের আগেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রিসভার একটি সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, অভিবাসীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য ও নিয়ম-কানুনের বিষয়ে তারা শিগগিরই একটি গ্যাজেট প্রকাশ করবেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় বাংলাদেশ-গ্রিসের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই অভিবাসীদের নিবন্ধনের এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মিশন সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধন না থাকায় গ্রিসে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশি পাচার চক্রের শোষণের শিকার হন।
সূত্র আরও জানিয়েছে, অনিবন্ধিত বাংলাদেশি শ্রমিকরা, বিশেষ করে পশ্চিম গ্রিসের কৃষি খাতে যারা কর্মরত, তারা ইউরোপের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ৭১৩ ইউরোর চেয়েও কম মজুরি পান।
এ সমস্যার সমাধান ও অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশ ও গ্রিস এই সমঝোতা স্মারকে সই করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় কোনো দেশের এ ধরনের চুক্তি সই এটিই প্রথম।
চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিস প্রতি বছর তাদের কৃষি খাতে ৪ হাজার নতুন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেবে।
শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে বাংলাদেশের অনেক তরুণই ইউরোপীয় দেশগুলো, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
সেই স্বপ্ন পূরণে অনেক বাংলাদেশি তরুণ পাচারকারীদের মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে ভূমধ্যসাগরসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রুটের মাধ্যমে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ তার বিবৃতিতে বলেন, মিশন অনিবন্ধিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়মিতকরণের জন্য নিবন্ধন শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে ১০০ জনেরও বেশি নাম রেকর্ড করা হয়েছে। নামগুলো গ্রিস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে, যারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আবেদনপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন প্লাটফর্ম খুলবে।
প্রবাসীদের রেসিডেন্স কার্ড প্রক্রিয়াকরণ ও ইস্যু করার জন্য অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যেককে ৯১ ইউরো করে দিতে হবে।
আবেদনগুলো সঠিকভাবে জমা দিতে পারলে অভিবাসীরা ইমেলের মাধ্যমে 'অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি' পাবেন, যা তাদেরকে আইনিভাবে গ্রিসে বসবাস ও কাজ করার অনুমোদন দেবে।
পরবর্তীতে, গ্রিক কর্তৃপক্ষ আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিলে অভিবাসীদের ৫ বছরের জন্য 'রেসিডেন্স কার্ড' দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে এই মেয়াদ আবারও বাড়ানো হবে।
| মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে গ্রিস সরকার অনিবন্ধিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। |
international | ‘গাজায় বিপর্যয় এবং মানবিক সংকটে অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত’ | অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং অস্ট্রেলিয়ায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন।
গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা যাওয়ায় ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওং একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, `গাজার আজকের বিপর্যয় এবং চলমান মানবিক সংকটের কারণে অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত।'
তিনি আরও লিখেছেন, 'এই ঘটনাগুলো স্পষ্ট করে যে কেন অস্ট্রেলিয়া কয়েক মাস ধরে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে হবে। মানবিক সহায়তা অবশ্যই বেসামরিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গাজা শহরের একটি ত্রাণবাহী গাড়ি থেকে খাবার তুলে নেওয়ার জন্য সমবেত হওয়া ফিলিস্তিনিদের ভিড়ের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েল বলছে, খাদ্য সহায়তার জন্য একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভিড়ে বিপন্ন বোধ করায় তারা গুলি চালায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং জানিয়েছেন, খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং আশ্রয়ের জন্য মানবিক সহায়তায় ইতোমধ্যে ৪৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও জরুরি সহায়তা ঘোষণা করা হবে।
অস্ট্রেলিয়া গত মাসে লেবানন এবং জর্ডানে উদ্বাস্তু কর্মসূচিতে ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন, জরুরি সাহায্য ও সরবরাহের জন্য রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট মুভমেন্টে ৪ মিলিয়ন এবং জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার মাধ্যমে ৬ মিলিয়ন সাহায্য দিয়েছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং অস্ট্রেলিয়ায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন। |
education | ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টে যোগ দিলেন বিচারক স্বপ্নারা খাতুন | বাঙালি বংশোদ্ভূত বিচারক স্বপ্নারা খাতুন ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট বোর্ডে ট্রাস্টি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এই ট্রাস্ট প্রবাসী নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য কাজ করে থাকে।
স্বপ্নারা খাতুন একজন সার্কিট জজ এবং ডেপুটি হাইকোর্টের বিচারক যিনি লন্ডনে পারিবারিক ও ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেন।
এর আগে তিনি ২৪ বছর ধরে ব্যারিস্টার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিশেষজ্ঞ সরকারি উপদেষ্টা সংস্থা, ফ্যামিলি জাস্টিস কাউন্সিলে কাজ করেছেন। খাতুন স্বপ্নার বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার বোর্ডে কাজ করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং তিনি বর্তমানে এক্সেস টু জাস্টিস ফাউন্ডেশনের লর্ড চিফ জাস্টিসের মনোনীত ট্রাস্টি। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়্যাল হোলওয়ে কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টর অব লস উপাধিতে ভূষিত হন এবং এর কলেজ কাউন্সিলের সদস্য। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডনের অনারারি ল ফেলো।
নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে তিনি ট্রাস্টের দৃষ্টিভঙ্গি সমুন্নত রাখতে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও কৌশলগত দিকনির্দেশনা দেবেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক দারিদ্র্য, বৈষম্য ও অবিচার মোকাবিলায় ২০০৭ সালে সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস এবং একদল ব্রিটিশ এশীয় ব্যবসায়ী নেতা ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
| বাঙালি বংশোদ্ভূত বিচারক স্বপ্নারা খাতুন ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট বোর্ডে ট্রাস্টি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এই ট্রাস্ট প্রবাসী নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য কাজ করে থাকে। |
international | অস্ট্রেলিয়ায় সিটি কাউন্সিলে ফিলিস্তিনি পতাকা, ইহুদিদের ক্ষোভ | দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনির ক্যান্টারবেরি-ব্যাঙ্কটাউন কাউন্সিল গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানোর পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছে।
কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করা পর্যন্ত পতাকাটি উড়বে।
ক্যান্টারবেরি-ব্যাঙ্কটাউন কাউন্সিলর খোদর সালেহ গতকাল কাউন্সিলের সভায় ব্যাঙ্কটাউনের পল কিটিং পার্ক ও ক্যাম্পসি প্রশাসন ভবনে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করেন।
সালেহ জানান, ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের প্রস্তাব মেয়রের ও সিটি কাউন্সিলের সদস্যদের সর্বসম্মত সমর্থনে পেয়ে সহজেই পাস করেছে।
কাউন্সিলের প্রস্তাবে বলা হয়, 'ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন যুদ্ধপীড়িতদের সমর্থন দেখানোর ক্ষেত্রে একটি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি যাদের অনেক দিন ধরে উপেক্ষা করা হয়েছে। এটি একটি ছোট উদ্যোগ, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমবেদনার একটি ছোট পদক্ষেপ।'
তবে সিটি কাউন্সিল ভবনে পতাকা উত্তোলনের ফলে অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের অ্যালেক্স রিভচিন এসবিএস নিউজকে বলেন, 'যখন সভ্যতা এই পতাকার নামে সংঘটিত নৃশংসতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তখন ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ানো নির্মম ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।'
২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ক্যান্টারবেরি-ব্যাঙ্কটাউন অঞ্চলে একটি বিশাল লেবানিজ জনসংখ্যা রয়েছে। যা ভোটারদের ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।
আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনির ক্যান্টারবেরি-ব্যাঙ্কটাউন কাউন্সিল গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানোর পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছে। |
entertainment | ডেনমার্কের রানি হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার মেয়ে মেরি | মেরি এবং ফ্রেডরিকের জীবনের গল্পটি সিনেমার গল্পের মতোই রোমাঞ্চকর। বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করা অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ মেয়ে মেরি ডোনাল্ডসনের সঙ্গে সিডনি শহরের একটি ক্লাবে পরিচয় হয় ডেনমার্কের যুবরাজ ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডরিকের। তারপরের ঘটনাটি হয়ে গেছে ইতিহাস।
আর মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া মেরি ডোনাল্ডসন ডেনমার্কের রানি হবেন।
এ মাসের ১৪ তারিখ বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম শাসক ডেনমার্কের রানী মারগ্রেথ সিংহাসন ছাড়ছেন। নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রানি দ্বিতীয় মারগ্রেথ ক্ষমতা গ্রহণের ৫২ বছর পর সিংহাসন ছাড়ার ঘোষণা দেন। ভাষণে সন্তান ফ্রেডরিককে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন তিনি। ফলে ১৪ জানুয়ারি যখন মারগ্রেথ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছাড়বেন তখন তার ছেলে প্রিন্স ফ্রেডেরিক রাজা হবেন আর প্রিন্সেস মেরি হবেন রানি।
রাজ্যাভিষেক শুরু হবে ফ্রেডেরিক এবং মেরির খ্রিস্টানবার্গ প্রাসাদে যাওয়ার মাধ্যমে। খ্রিস্টানবার্গ প্রাসাদ ১৪০০ সাল থেকে ডেনমার্ক রাজ্যের ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে জন্ম ম্যারি ডোনাল্ডসনের। সেখানেই লেখাপড়া করেন। তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য ও আইন বিষয়ে স্নাতক হন তিনি।
২০০০ সালে অলিম্পিক গেমসের সময় সিডনিতে যুবরাজ ফ্রেডরিকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। মেরি সেখানে তার বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন।
পরে এক টিভি সাক্ষাৎকারে মেরি ডোনাল্ডসন বলেন, 'প্রথমবার দেখা হওয়ার পর আমরা করমর্দন করি। আমি জানতাম না যে তিনি ডেনমার্কের যুবরাজ। এক ঘণ্টা বা তারও পর কেউ আমার কাছে এসে বলল, ''আপনি কি জানেন এই লোকেরা কারা?''
যুবরাজের সঙ্গে ওই রাতে ইউরোপীয় রাজপরিবারের অনেক সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে ফ্রেডরিকের ছোট ভাই প্রিন্স জোয়াচিম, চাচাতো ভাই গ্রিসের প্রিন্স নিকোলাসও ছিলেন।
৩ বছর প্রেমের পর ২০০৩ সালের অক্টোবর মেরি-ফ্রেডরিকের বাগদান হয়। পরের বছরের ১৪ মে কোপেনহেগেন ক্যাথেড্রালে বিয়ে হয় তাদের।
প্রিন্সেস মেরি বর্তমানে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় আঞ্চলিক কার্যালয়সহ ৩০টিরও বেশি দাতব্য সংস্থার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে কাজ করছেন। তিনি ডেনিশ শরণার্থী কাউন্সিলের অন্যতম সংগঠক। মেরি ২০০৭ সালে পুরস্কার বিজয়ী সামাজিক সংগঠন মেরি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
গত ডিসেম্বরে ডেনিশ টেলিভিশন টিভি২ এক জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, দেশটির রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে জনপ্রিয় তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ম্যারি ডোনাল্ডসন। প্রথম স্থানে রানি মারগ্রেথ। এরপরই তার ছেলে ফ্রেডরিক।
এই দম্পতি ১৯ বছর ধরে সুখি বিবাহিত জীবনযাপন করছেন এবং তাদের চার সন্তান আছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| মেরি এবং ফ্রেডরিকের জীবনের গল্পটি সিনেমার গল্পের মতোই রোমাঞ্চকর। বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করা অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ মেয়ে মেরি ডোনাল্ডসনের সঙ্গে সিডনি শহরের একটি ক্লাবে পরিচয় হয় ডেনমার্কের যুবরাজ ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডরিকের। তারপরের ঘটনাটি হয়ে গেছে ইতিহাস। |
education | নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় এবার ২ লাখ ডলারের বই বিক্রি | যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলায় তিন দিনে দুই লাখ ডলারের বাংলা বই বিক্রি হয়েছে। জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে আয়োজিত এই বইমেলায় ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়।
গেল শুক্রবার বইমেলা উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা। গতকাল সোমবার ছিল মেলার শেষদিন। চার দিনব্যাপী এই মেলায় বই বিক্রির সঙ্গে কবিতা পাঠ, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন ছিল। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের এ আয়োজন পরিণত হয়েছে বিশ্ব বাঙালির মিলন উৎসবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, 'শেষ হলো বাঙালি অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বই মেলা। মেলা উদ্বোধনের পর প্রতিদিন এসেছি এখানে। যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর বাংলাদেশ এ কথাটির সত্যতা পুনর্বার আমরা দেখতে পাচ্ছি এই বইমেলায়। এ আয়োজন বিশ্ব বাঙালি এক মিলনস্থল হয়ে উঠেছে ।'
নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ মুক্তধারা/জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার। এর আর্থিক মূল্যমান ৩ হাজার ডলার। এবার এই পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, 'নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা উদ্বোধন করতে ২০০৪ সালে একবার এসেছিলাম। সেবার যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহরে বইমেলা হয়েছিল। আমিও গিয়েছিলাম নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, লস এঞ্জেলস ও ডালাসে। আমি দেখেছি বাঙ্গালীদের মধ্যে এক ঐক্যের সুর গ্রথিত করেছে এই বইমেলা। সেই বইমেলা আমাকে পুরস্কার দিয়েছে আমি অনেক সম্মানিত বোধ করছি, আনন্দ লাগছে খুব।'
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, 'প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে আগত প্রকাশকদেরকে বিনামূল্যে দেওয়া হয় বইমেলা স্টল। অংশগ্রহণকারী প্রকাশকদের মধ্য থেকে একটি সংস্থাকে দেওয়া হয় চিত্তরঞ্জন সাহা সেরা প্রকাশক পুরস্কার। এ বছর এক হাজার ডলার মূল্যমানের এ পুরস্কার পেয়েছেন সময় প্রকাশনীর কর্ণধার ও সম্পাদক ফরিদ আহমেদ। প্রকাশকরা অত্যন্ত খুশি। চার দিনের বইমেলার প্রথম দিন ছিল উদ্বোধন। তারপরে তিনদিনে ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা বিক্রি করেছে ২ লাখ ডলারের বাংলা বই।'
৩৩ তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক হাসান ফেরদৌস বলেন, 'বাংলাদেশ, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, কলকাতা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে মেলায় এসেছেন সাহিত্যিক, প্রকাশক এবং দর্শনার্থীরা। বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান দর্শকদের আনন্দিত করেছে। আমার কাছে এবারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল নতুন প্রজন্মের ব্যাপক অংশগ্রহণ। আমরা আগামী মেলাগুলো তাদের হাতেই সমর্পণ করতে চাই। আগামী বছর একইস্থানে মে মাসের ২৩ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে আন্তর্জাতিক এই বাংলা বইমেলার ৩৪ তম আসর।'
মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এর প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন জানান, বইমেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরিফিন সিদ্দিক, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সদস্য সচিব অভিনেত্রী সারা জাকের এবং অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন, একুশে পদক প্রাপ্ত ছড়াকার লুৎফুর রহমান রিটনসহ শতাধিক গুণীজন।
একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লিলি ইসলাম এবং নিরুপমা রহমান।
| যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলায় তিন দিনে দুই লাখ ডলারের বাংলা বই বিক্রি হয়েছে। জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে আয়োজিত এই বইমেলায় ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। |
international | কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত | কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল আলিম (২৫) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুয়েতের আব্দালি এলাকায় গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন আহত ও ১ জন নিহত হন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত আব্দুল আলিম চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার ২ নম্বর বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমচাল নোয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।
আহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
নিহতের মামা কুয়েতপ্রবাসী মোহাম্মদ শফিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আব্দুল আলিম ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন ২ জন বাংলাদেশি সহকারীসহ কাজে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, '৭ বছর আগে কুয়েতে আসে আমার ভাগিনা। এরপর আর দেশে যাওয়া হয়নি তার। একেবারে তার লাশটা ফিরবে দেশে।'
| কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল আলিম (২৫) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। |
international | মালয়েশিয়ার সমুদ্রসৈকত থেকে বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার | মালয়েশিয়ার সমুদ্রসৈকত থেকে এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দেশটির কোয়ান্তান রাজ্যের কাম্পুং বারু গেবেং সমুদ্রে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া মোহাম্মদ রাশিদুল (৩০) নামে এই প্রবাসী বাঙালীর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিহত রাশিদুল ও আরও দুই বন্ধু মিলে গেবেং সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে যান।
এরপর সাঁতার কেটে সৈকত থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে গেলে ঢেউয়ের কবলে পড়েন তারা। দুই বন্ধু নিজেদের বাঁচাতে সক্ষম হলেও রাশিদুল ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হন।
রাশিদুলের দুই বন্ধু সৈকত থেকে দ্রুত ফিরে কারখানায় গিয়ে তাদের ম্যানেজারকে বিষয়টি জানালে বিকেল সোয়া তিনটার সময় ম্যানেজার স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানান।
পুলিশ বিকেল ৪টা বেজে ৫০ মিনিটের দিকে সৈকত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মোহাম্মদ রাশিদুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বাংলাদেশীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় টেংকু আম্পুয়ান আফজান হাসপাতালে (এইচটিএএ) রাখা হয়েছে।
| মালয়েশিয়ার সমুদ্রসৈকত থেকে এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। |
international | ওমরাহ পালনে যাওয়ার পথে বাংলাদেশি মা-মেয়ে নিহত | ওমরাহ হজ পালন করতে যাওয়ার পথে সৌদি আরবের রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
নিহত দুজন হলেন—চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা নূর জাহান (৪৭) ও তার মেয়ে আমিরাহ জাহান (১৩)।
নূর জাহান স্বজন মুহাম্মদ নাসির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নূর জাহান সপরিবারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করতেন। তারা আবুধাবি থেকে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে যাচ্ছি। পথে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
নাসির বলেন, 'স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে রিয়াদ থেকে মদিনায় প্রবেশকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ দুটি গাড়িতে আমার মেজ চাচা মোহাম্মদ নুরুল আলম পরিবারের ১৩ জন সদস্য নিয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ হজ পালন করতে যাচ্ছিলেন। একটি গাড়ি চালাচ্ছিল ভাতিজি রূপসা আলম। ওই গাড়ির টায়ার ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তায় উল্টে যায়।
'এতে আমার ছোট চাচা আবু তাহেরের স্ত্রী নূর জাহান ও তার মেয়ে আমিরাহ জাহান নিহত হন। আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। ছোট চাচা কাজের ব্যস্ততায় ওমরাহ পালনে যেতে পারেননি,' বলেন তিনি।
| ওমরাহ হজ পালন করতে যাওয়ার পথে সৌদি আরবের রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। |
economy | আমিরাতে ৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি গাড়িচালক | সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত এক প্রবাসী বাংলাদেশি লটারিতে ১০ লাখ দিহরাম জিতেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকা।
বুধবার খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবুধাবিভিত্তিক বিগ টিকিটের সাপ্তাহিক ইলেকট্রনিক ড্র হয়েছে এবং প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ লটারিতে ১০ লাখ দিহরাম জিতেছেন।
দেশটির রাস আল খাইমায় বসবাসরত ৫৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি প্রায় এক বছর ধরে টিকিট কেনার পর এবার তার ভাগ্য খুলে গেছে।
বন্ধুদের পরামর্শে গত এক বছর ধরে বিগ টিকিটের লটারি কিনছেন মোহাম্মদ। দলগতভাবে তারা প্রতি মাসেই টিকিট কিনেন। সর্বশেষ ড্রয়ের পর মুহূর্তেই তিনি কোটিপতি হয়ে গেছেন।
লটারি জেতার পর মোহাম্মদ বলেন, 'আমরা বিশেষ অফারে চারটি টিকিট কিনেছিলাম। এর মধ্য থেকে আমি দুটি টিকেট বেছে নেই। যে টিকিটটি বিজয়ী হয়েছে সেটি আমি বেছে নিয়েছিলাম। আমি অনেক খুশি।'
এই টাকা দিয়ে কী করবেন? জানতে চাইলে মোহাম্মদ বলেন, 'আমি এখনো জানি না। তবে, পুরস্কারের টাকা থেকে বন্ধুদেরও কিছু দেবো, আর বাংলাদেশে হয়ত বাড়ি করবো।'
| সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত এক প্রবাসী বাংলাদেশি লটারিতে ১০ লাখ দিহরাম জিতেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকা। |
economy | এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আবারও মাহতাব-ইয়াছিন | সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি শিল্পোদ্যোক্তা ও কমিউনিটি সংগঠক এবং আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান প্রবাসী বাংলাদেশিদের শীর্ষ সংগঠন এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
একইসঙ্গে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওমানের প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পোদ্যোক্তা ও কমিউনিটি সংগঠক মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে নির্বাচনে তাদের নেতৃত্বে ২০২৪-২০২৫ সালের কার্যকরী কমিটি গঠন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এনআরবি সিআইপিদের সর্বসম্মতিক্রমে ২৩ সদস্যের কমিটি নির্বাচিত হয়।
কমিটির নির্বাচিত অন্য সদস্যরা হলেন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি থাতেইয়ামা কবির (জাপান), সহ-সভাপতি মো. মনির হোসেন (আরব আমিরাত), রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু (রাশিয়া), মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া (ওমান), কল্লোল আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র), ফরিদ আহমেদ (আরব আমিরাত) ও মোহাম্মদ মাহবুব আলম (আরব আমিরাত)।
এ ছাড়াও, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ খান (কাতার) ও আবুল কালাম (আরব আমিরাত), সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান শাহিন (হংকং) ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ ইদ্রিস (ওমান), কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান (ওমান) ও সহ কোষাধ্যক্ষ ইজাজ হোসেন (আরব আমিরাত), আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী শাহ আলম জুনু (সুইডেন) ও সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ শফি উদ্দিন (বাহরাইন), দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (ওমান), প্রচার সম্পাদক জসীম উদ্দিন (আরব আমিরাত) ও সহ প্রচার সম্পাদক সামশুল আজিম আনসার (ওমান) নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্যরা হলেন, শহীদ হোসেন জাহাঙ্গীর (অস্ট্রেলিয়া), মোহাম্মদ আকতার হোসেন (আরব আমিরাত) ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (থাইল্যান্ড)।
বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর সারাবিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এনআরবি সিআইপি নির্বাচিত করে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই মর্যাদাপ্রাপ্ত প্রবাসী সিআইপিদের নিবন্ধিত সংগঠন এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের পরিবারের কল্যাণে ভূমিকা রাখছে।
| সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি শিল্পোদ্যোক্তা ও কমিউনিটি সংগঠক এবং আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান প্রবাসী বাংলাদেশিদের শীর্ষ সংগঠন এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। |
economy | চট্টগ্রাম-দুবাই সরাসরি জাহাজ চালুর দাবি | আমদানি ও রপ্তানির সুবিধার্থে চট্টগ্রাম-দুবাই সরাসরি জাহাজ চলাচলের দাবি জানালেন ব্যবসায়ী সংগঠন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফররত বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু'র সঙ্গে বৈঠকে তারা এ দাবি জানান।
এই বৈঠকে অংশ নেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ রাজা মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমদ ও সদস্য এরশাদুল হক।
বৈঠকে আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সুবিধা ও বিনিয়োগের সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজনেস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন বলেন, 'আমদানি ও রপ্তানির সুবিধার্থে চট্টগ্রাম থেকে দুবাই ও ফুজিরায় সরাসরি জাহাজ চালুর দাবি জানানো হয়েছে। গার্মেন্টস পণ্য, মাছ, মাংস, শাকসবজি মসলাসহ খাদ্যদ্রব্য বাংলাদেশ থেকে আমিরাতে আমদানি করতে অন্য দেশ হয়ে জাহাজ চলাচলে খরচ বেশি হচ্ছে। তাই বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আমরা এই দাবি জানাই৷'
আরবা আমিরাত প্রবাসী ব্যবসায়ীদের এই নেতা বলেন, 'প্রতিমন্ত্রী দাবির প্রেক্ষিতে আমাদেরকে বলেছেন দুই স্টেশন থেকে জাহাজ পূর্ণ করার নিশ্চয়তা থাকলে বাণিজ্যের স্বার্থে যেকোনো উদ্যোগ গ্রহণে বর্তমান সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকারের চলমান উন্নয়নে অংশীদার হতে দেশে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।'
| আমদানি ও রপ্তানির সুবিধার্থে চট্টগ্রাম-দুবাই সরাসরি জাহাজ চলাচলের দাবি জানালেন ব্যবসায়ী সংগঠন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের নেতৃবৃন্দ। |
international | সিডনিতে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত | অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে 'সর্বজনীন পেনশন স্কিম-২০২৩' বিষয়ে স্থানীয় প্রবাসীদের অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিডনিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াৎ হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কনস্যুলেটের কনসাল আশফাক হোসাইন।
সভায় উপস্থিত লেখক, সাংবাদিক, সংগঠক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসীদের প্রশ্নের জবাব দেন কনসাল জেনারেল।
এসময় তিনি বলেন, 'সরকার প্রবর্তিত এই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সব শ্রেণির মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সব নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিতের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। পেনশন স্কিমের অর্থ করমুক্ত এবং প্রবাস থেকে প্রেরণে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনাও মিলবে।'
তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় প্রবাস স্কিমে অংশ নিতে আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি উপস্থিত সবাইকে পেনশন স্কিমের উপকারিতা অন্যান্যদের মাঝে যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া এবং বাংলদেশী আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনকে পেনশন স্কিমে অংশ নিতে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।
সভায় পেনশন স্কিমের নিবন্ধন প্রক্রিয়া, সুযোগ সুবিধা বিষয়ের উপর একটি বিশেষ ভিডিওচিত্র প্রদর্শন এবং পেনশন ব্যবস্থার তথ্য সম্বলিত পুস্তিকা বিলি করা হয়।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে 'সর্বজনীন পেনশন স্কিম-২০২৩' বিষয়ে স্থানীয় প্রবাসীদের অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। |
international | মালয়েশিয়ায় প্রতারণার শিকার, চাকরিহীন ১০৪ বাংলাদেশি | মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারণার শিকার ১০৪ বাংলাদেশিকে রাজধানী কুয়ালালামপুরের চেরাসের একটি বাসায় আটকে রাখা হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে কাজের ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরও চাকরি পাননি তারা। আটক অবস্থায় দুর্বিসহ দিন কাটাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকার নিয়ে দেশটিতে কাজ করা ব্রিটিশ শ্রম অধিকার কর্মী এন্ডি হল বলেছেন, ওই ১০৪ কর্মী মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ১৯ হাজার ৫০০ থেকে ২১ হাজার ৭০০ রিঙ্গিত নিয়োগ ফি দিয়েছে। তাদের ভালো জীবনযাত্রার সুবিধা ও উচ্চ বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
চেরাসের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়োগ দিয়েছিল বলে জানান তিনি।
তিনজন শ্রমিক বলেছেন, নিয়োগের ফি দিতে গিয়ে তাদের ঋণে পড়তে হয়েছে।
প্রতারণার শিকার এক কর্মী এন্ডি হলকে বলেছেন, 'আমি বিশাল ঋণের মধ্যে পড়ে গেছি। বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা ধার করার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে বেতন পেয়ে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করব। কিন্তু এখন আমি পরিশোধ করতে অক্ষম। ঋণদাতারা আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।'
কর্মীরা জানান, সেখানে যাওয়ার পর তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয় এবং তারা শারীরিক ও মৌখিক নির্যাতনের শিকার হয়। এছাড়া, তাদের যিনি বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করেন, তিনি তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এন্ডি হলের বরাত দিয়ে ফ্রি-মালয়েশিয়াটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০০ জনের বেশি শ্রমিকের জন্য একটি টয়লেট দেওয়া হয়েছে এবং একটি কক্ষের মধ্যে গাদাগাদি করে তাদের থাকতে হচ্ছে। তাদের ভাত, ডাল ও আলু ভর্তা খাওয়ানো হচ্ছে।
এক কর্মী দাবি করেছেন, কাজের অবস্থা জানতে চাওয়ার পর চার দিন তাকে খাবার দেওয়া হয়নি।
এন্ডি হল বলছেন, প্রতিশ্রুত চাকরি পাওয়ার পরিবর্তে তাদের কোনো কাজ নেই এবং কোনো আয় নেই। এ পরিস্থিতি চরম বিপাকে রয়েছেন ১০৪ জন বাংলাদেশি কর্মী।
| মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারণার শিকার ১০৪ বাংলাদেশিকে রাজধানী কুয়ালালামপুরের চেরাসের একটি বাসায় আটকে রাখা হয়েছে। |
sports | মালদ্বীপের হ্যান্ডবল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ডিরেক্টর বাংলাদেশের আমজাদ | মালদ্বীপের হ্যান্ডবল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে চার বছরের চুক্তিতে দেশটিতে গেছেন লাল-সবুজ দলের ৪৫ বছর বয়সী সাবেক খেলোয়াড় আমজাদ হোসেন।
শুক্রবার মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন মালদ্বীপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিদারুল আলম ভূঁইয়াসহ প্রবাসী বাংলাদেশি এবং স্থানীয় নাগরিকরা।
এর আগে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপ জাতীয় হ্যান্ডবল দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশের আমজাদ হোসেন। তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও দেশটিতে গেছেন তিনি।
এবার বিশেষ করে মালদ্বীপের তৃণমূল পর্যায়ে হ্যান্ডবল নিয়ে কাজ করবেন আমজাদ। এজন্য মাসিক আড়াই হাজার ডলার বেতন ছাড়াও খাবার, আবাসিক সুবিধা ও বছরে দেশে ফেরার তিনটি টিকিট পাবেন।
নতুন করে মালদ্বীপে দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত আমজাদ। তিনি বলেন, 'নতুন দায়িত্ব পেয়ে ভালো লাগছে। আগে মালদ্বীপের জাতীয় দল নিয়ে কাজ করেছি। এবার বয়সভিত্তিক দল নিয়ে কাজ করব। উদীয়মানদের শেখানোর সুযোগ পেয়ে আমি আসলেই খুশি।'
| মালদ্বীপের হ্যান্ডবল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে চার বছরের চুক্তিতে দেশটিতে গেছেন লাল-সবুজ দলের ৪৫ বছর বয়সী সাবেক খেলোয়াড় আমজাদ হোসেন। |
international | ইতালিতে শ্রমিক আমদানির ক্লিক ডে শেষ হয়েছে, ভিসা প্রদান কবে | ইতালি সরকার ঘোষিত সাড়ে চার লাখ নতুন শ্রমিক আমদানি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপের আবেদনগ্রহণ শেষ হয়েছে। তিন দিনের আবেদন তারিখ বা 'ক্লিক ডে' শেষে মোট এক লাখ ৩৬ হাজার শ্রমিকের পদের বিপরীতে আবেদন জমা হয়েছে প্রায় ছয় লাখ আট হাজার।
আবেদন গ্রহণের প্রথম দিন ছিল ২ ডিসেম্বর। স্থানীয় সময় সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা আটটা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। প্রথম ক্লিক ডেতে 'নন স্তাজোনালে' বা স্থায়ী শ্রমিকের আবেদন গ্রহণ করা হয়। এই ক্যাটাগরিতে ৫২ হাজার শ্রমিক আমদানি করা হবে। আবেদন জমা হয়েছে আড়াই লাখের বেশি।
দ্বিতীয় ক্লিক ডে ছিল ৪ ডিসেম্বর। এ দিনে গৃহকর্মীর আবেদন গ্রহণ করা হয়। ১০ হাজার শ্রমিকের জন্যে আবেদন জমা হয় প্রায় ৮৬ হাজার।
তৃতীয় ক্লিক ডে, অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বরে স্তাজোনালে বা সিজন্যাল শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়। এ দিনে সাড়ে ৮২ হাজার শ্রমিকের জন্য আবেদন জমা হয় প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার।
ক্লিক ডের প্রথম দিন, ২ ডিসেম্বর অনলাইনে আবেদন করতে তেমন কোনো অসুবিধা না হলেও দ্বিতীয় দিন ৪ ডিসেম্বর সার্ভার কিছুটা ডাউন হয়ে যায়। ফলে অনেকে চেষ্টা করেও প্রথম পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মধ্যে আবেদন জমা দিতে পারেননি।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সকাল নয় টায় আবেদন গ্রহণ শুরু হওয়ার মাত্র চার মিনিটের মাথায় ঘোষিত কোটা পরিমাণ আবেদন জমা হয়ে যায়। সুতরাং চার মিনিটের পর যাদের আবেদন জমা হয়েছে তারা নূল্যা ওয়াস্তা বা এনওসি না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রথম চার মিনিটে কোটা পরিমাণ আবেদন জমা হলেও সব আবেদন গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। আবেদনে গড়মিল বা তথ্য বিভ্রাটের কারণে অনেক আবেদন বাতিল হবে। এই হিসাবে বলা যেতে পারে যাদের আবেদন প্রথম ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যে জমা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে নূল্যা ওয়াস্তা বা ভিসার অনুমোদন পত্র পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারি নিয়মানুসারে ২০ কর্মদিবসের মধ্যে আবেদনকারীকে নূল্যা ওয়াস্তার বিষয়ে জানানোর কথা, কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হবে না। ইতালিসহ ইউরোপ জুড়ে বড় দিন এবং নতুন বছরের উৎসবের লম্বা ছুটি শুরু হবে কদিন পরে। সুতরাং মধ্য জানুয়ারির পরে নূল্যাওয়াস্তা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্রমিক আমদানির জন্য প্রতিটি আবেদনের রিচেভুতা বা জমা রসিদ দেয়া হয়েছে। রসিদে আবেদনকারীর নাম, শ্রমিকের নাম, আবেদন জমার সময়, তারিখ উল্লেখ রয়েছে। রসিদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভেরিফাই কোড দেয়া আছে। তবে সহজে জানার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে যে 'স্পিড আইডি' ব্যবহার করা হয়েছে সেটা দরকার হবে। অর্থাৎ আপনি যার সহযোগিতা নিয়ে আবেদন জমা করেছেন তার মাধ্যমে আবেদনের বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন।
পূর্বঘোষনা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ৫, ৭ ও ১২ তারিখে দ্বিতীয় ধাপের এক লাখ ৫১ হাজার শ্রমিকের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এবার যাদের আবেদন পাঠাতে দেরি হয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারিতে আবারও আবেদন করতে পারবেন।
ইতালি আসতে আগ্রহীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্রতারণা করা, আবেদনের জাল রসিদ তৈরি করাসহ নানা অভিযোগের কথা শোনা যায় ভুক্তভোগীদের মুখে। বিশেষ করে যারা স্তাজোনালে বা সিজন্যাল ভিসায় আসতে আগ্রহী তাদের জন্য ইতালির আইন আরও বলিষ্ঠ করা হচ্ছে। এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের প্রায় নয় বছর কালো তালিকাভুক্ত করে রাখা হয়েছিলো। এখনও বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সুতরাং ভিসা হওয়ার আগে লেনদেন না করা এবং ইতালি এসে নয় মাস পরে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হওয়ার বিষয়গুলো ভালো ভাবে জেনেবুঝে, সাবধানে অগ্রসর হওয়া উচিত সবার।
| ইতালি সরকার ঘোষিত সাড়ে চার লাখ নতুন শ্রমিক আমদানি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপের আবেদনগ্রহণ শেষ হয়েছে। তিন দিনের আবেদন তারিখ বা 'ক্লিক ডে' শেষে মোট এক লাখ ৩৬ হাজার শ্রমিকের পদের বিপরীতে আবেদন জমা হয়েছে প্রায় ছয় লাখ আট হাজার। |
economy | কুয়েতে খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পাচ্ছেন বেসরকারি কর্মীরা | কুয়েতে বসবাসরত বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য খণ্ডকালীন কাজের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি কার্যকর হবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে।
কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ তালাল আল খালেদ মূল নিয়োগকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে খণ্ডকালীন চাকরির অনুমতি দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মীরা সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন, যদি তারা মূল নিয়োগকর্তার কাছ থেকে খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পান। তবে এটি শুধুমাত্র বেসরকারি খাতে যারা কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতের কর্মশক্তিকে ব্যবহার করতে, জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলা করতে এবং বর্তমান শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ তালাল আল খালেদ।
তবে এই সুবিধা ঠিক কারা পাবে সেটা উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ। প্রবাসীরা মনে করছেন, তারাও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
উল্লেখ্য, কুয়েতে পার্টটাইম কাজ শ্রম আইনের লঙ্ঘন। করোনার পর থেকে আবাসিক ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের কারণে কুয়েতে প্রতিনিয়ত আটক হচ্ছেন প্রবাসীরা। বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে একদিন আগেও গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৭৫ জন প্রবাসী।
| কুয়েতে বসবাসরত বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য খণ্ডকালীন কাজের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি কার্যকর হবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে। |
international | মালয়েশিয়ায় মর্গে পড়ে আছে বাংলাদেশির মরদেহ, খোঁজ মিলছে না স্বজনদের | মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের ইপোহ শহরের রাজা মনজিৎ সিং ইপোহ হাসপাতাল মর্গে এক বাংলাদেশির মরদেহ পড়ে আছে। মৃতের হাতে লেখা পাসপোর্টে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় এবং তার পরিবার ও স্বজনদের খুঁজে না পাওয়ায় মরদেহটি দেশে পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
পাসপোর্ট অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশির নাম মো. আবদুল সোবহান (৪৯)। তিনি কুমিল্লা জেলার নুরের জামানের ছেলে।
প্রবাসী ওই বাংলাদেশির বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। মরদেহ শনাক্তে স্বজন বা অন্য পরিচিতজনদের হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্ট্রোকজনিত কারণে মো. আবদুল সোবহানকে ২০২২ সালে অপরিচিত এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। চলতি বছরের ১৭ মার্চ চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানালে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নেয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাতে লেখা একটি পাসপোর্ট ছাড়া নিহতের পরিচিত কারো কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
দাবিদার না পাওয়া পর্যন্ত মো. আবদুল সোবহানের মরদেহ দেশে পাঠানো সম্ভব নয়। পরিচিত বা স্বজনদের মরদেহ শনাক্তে হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাসের সঙ্গে +৬০১২৪৩১৩১৫০ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের জন্য হাইকমিশন থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
| মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের ইপোহ শহরের রাজা মনজিৎ সিং ইপোহ হাসপাতাল মর্গে এক বাংলাদেশির মরদেহ পড়ে আছে। মৃতের হাতে লেখা পাসপোর্টে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় এবং তার পরিবার ও স্বজনদের খুঁজে না পাওয়ায় মরদেহটি দেশে পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। |
economy | ভুয়া সনদের কারণে আমিরাতে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা: রাষ্ট্রদূত | বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নেওয়ায় দেশটিতে প্রবাসীদের ভিসা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরাসরি কাজের ভিসা নিয়ে আমিরাতে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও প্রতারক চক্রের কারণে দেশের সম্মানও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আমিরাতের দুবাইয়ে মুতিনা অঞ্চলে বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আরব আমিরাতের কোনো ভিসাই বন্ধ নেই। সঠিক ভিসা নিয়ে দূতাবাস কিংবা কনস্যুলেটের লেবার উইং থেকে সত্যায়িত করে তবেই আসতে হবে একজন কর্মীকে। যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী হচ্ছে সব ভিসাই।'
তিনি বলেন, 'আমিরাতের ভিসায় এখন শ্রেণীবিন্যাস রয়েছে। সাধারণত ভিজিট ভিসায় এসে সেটাকে কাজের ভিসায় পরিবর্তন করা যায় না। তবে "ভিজিট ফর জব সিকার" ভিসা নিয়ে দক্ষ মানুষ এখানে এসে সেই ভিসাকে কাজের ভিসায় পরিবর্তন করতে পারেন৷ আর স্কিল ভিসা তো চালুই রয়েছে।'
প্রবাসী ও প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদেরকে দালাল থেকে সাবধান থাকারও পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলার আশিষ কুমার সরকার, সদ্য উদ্বোধন হওয়া রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ কাইয়ুম হোসেন জুয়েল, ফারজানা শাম্মী, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সিনিয়র সহসভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন, শেফালী আকতার আঁখি, মমিন হোসেন গাজী, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
| বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নেওয়ায় দেশটিতে প্রবাসীদের ভিসা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরাসরি কাজের ভিসা নিয়ে আমিরাতে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও প্রতারক চক্রের কারণে দেশের সম্মানও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। |
international | নিউইয়র্ক থেকে আরজ মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় | যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আরজ মতাদর্শ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে জ্যাকসন হাইটসে ওপেন আইজ আয়োজিত এই অংশগ্রহণমূলক আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী বাঙালিরা।
কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মুজাহিদ আনসারী সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক ও নাট্যকার তোফাজ্জল লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজনের সংগঠক সঞ্জীবন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, '২০১৮ সাল থেকে নিউইয়র্কে আরজ আলী মাতুব্বরের জন্ম উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে। নিউইয়র্কে আজ অত্যধিক বৈরি আবহাওয়া চলছে। এর মধ্যে আপনারা যারা এখানে এসেছেন, তাদের পক্ষেই সম্ভব আরজ আলী মাতুব্বরের মতাদর্শ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া।'
সাপ্তাহিক বাঙালি পত্রিকার সম্পাদক কৌশিক আহমেদ বলেন, 'তিনি সক্রেটিসের মতো প্রশ্ন করেছিলেন, আমি কে? আমি কেন? আত্মার সঙ্গে আমার দেহের সম্পর্ক কী? পরকাল বলে কী কিছু আছে? নিজেকে জানার জন্যই তার এসব প্রশ্ন। তিনি সত্যের সন্ধানে সারাটি জীবন অতিবাহিত করেছেন। যে সত্য জেনেছেন তা জীবনে ধারণ করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'সত্য সার্বজনীন নয়। সত্য আপেক্ষিক, সত্যের চেহারা সবার কাছে একরকম নয়। তবে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, আমাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে, উত্তর খোঁজাই সত্য সন্ধান।'
গবেষক জুয়েল মালিক বলেন, 'বাংলাদেশের বাঙালির এক জীবনধর্মী দার্শনিক আকর কথা বলে গেছেন। সত্যের সন্ধান করেছেন। প্রশ্ন করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যুকে, গীতকে, মিথকে একপাশে ঠেলে দিয়ে বিজ্ঞানমনস্কতার জয়গান গেয়েছেন। আজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বাস করে বিজ্ঞানের সব সুবিধা গ্রহণ করে চেতনায় মধ্যযুগীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণ করে আমরা গোঁজামিল ও সমঝোতা করে পদে পদে বিপদ ডেকে আনছি। আরজ আলী মাতব্বর গণিতকে বিজ্ঞানকে বিবর্তনকে প্রাধান্য দিয়েছেন।'
অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংগঠক ও রাজনীতিবিদ জাকির হোসেন বাচ্চু, সাংবাদিক আমানউদ্দৌলা, মাহমুদ মেনন, সাগর লোহানি, ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন ও মাহবুব রহমান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন, ব্লগার শুভ ডি কস্তা, বেঙ্গলি ক্লাবের সভাপতি দিনেশ চন্দ্র মজুমদার। আবৃত্তি করেন ক্লারা রোজারিও।
দীলিপ কুমার মোদক বলেন, 'বিশ্বাস কখনো উত্তর দেয় না, বরং প্রশ্ন করাকে বন্ধ করে দেয়। যুক্তি ও বাস্তবতার আলোকে জীবনকে জানা ও চেনাই ছিল তার দর্শনের মূল প্রতিপাদ্য, যা আমাদের আজকের সমাজের জন্য অপরিহার্য।'
মুক্তমনা বক্তা তানভীর কায়সার বলেন, 'আরজ আলী মাতুব্বরের অসংখ্য গুণাবলী রয়েছে। সেই বিষয়ে শুধু আলোচনা না করে আমাদের উচিত তার মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া এবং সেই অনুযায়ী সংকল্প গ্রহণ করা। তার জীবনে ধারণ করা অসাম্প্রদায়িকতা যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের মুক্তি অভিসম্ভাব্য। তবে কোনো নির্দিষ্টের ধর্মের অনুসারীর পক্ষে পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক হওয়া সম্ভব নয়।'
| যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আরজ মতাদর্শ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। |
education | অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসায় আসছে কঠোর নিয়ম | অস্ট্রেলিয়া এই সপ্তাহে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম কার্যকর করা শুরু করবে।
অস্ট্রেলিয়া সরকার উদ্বিগ্ন যে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনেকেই পড়াশোনার পরিবর্তে কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নিল জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ভিসা অনুমোদন আগের বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম হয়েছে। ফেডারেল সরকার অভিবাসন ব্যবস্থার সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানকারী সন্দেহজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি নতুন ক্র্যাকডাউনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের (এবিএস) প্রকাশিত ডেটা দেখায় যে, দেশটির জনসংখ্যা ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে মূলত অভিবাসী শ্রমিক এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কারণে।
চলতি সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থাকে নতুন ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা সন্দেহজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা তার মধ্যে অন্যতম।
'ভিসা কারখানা' হিসেবে পরিচিত ওইসব তথাকথিত প্রতিষ্ঠানকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হবে এবং তাদের শুধরে নেওয়ার সময় দেওয়া হবে ছয় মাস।
সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন পরীক্ষাও চালু করা হবে। শিক্ষার্থীদের তাদের অধ্যয়নের উদ্দেশ্য এবং তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাদের একটি ঘোষণা দিতে হবে যে, তারা প্রকৃত শিক্ষার্থী হওয়ার অর্থ কী তা বোঝে।
গত জুলাই মাসে ফেডারেল সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কত ঘণ্টা কাজ করতে পারবে তার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন শ্রম ঘাটতির কারণে ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজের সময়সীমা স্থগিত করা হয়েছিল।
এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৫ জন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়া এই সপ্তাহে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম কার্যকর করা শুরু করবে। |
state | পর্তুগালে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত | পর্তুগালের লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও কর্মী, পর্তুগালের মানবাধিকার সংগঠন ফুনদাকাও দে আসিসতেনসিয়া মেদিকা ইন্তারনাসিওনালের (এএমআই) কর্মী তানিয়া বারবোসা ও আনা লুইসা ফেরেইরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার ও অন্যান্য শহীদদের আত্মার শান্তি ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়।
এই দিবস উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মানবাধিকারকর্মী আনা লুইসা ফেরেইরা তার বক্তব্যে বলেন, 'বাংলাদেশ শিশু ও নারীর অধিকার সংরক্ষণে অনেক কাজ করেছে।
তিনি শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও শিশু অধিকার সনদের চরম লঙ্ঘনের সমতুল্য বলে মন্তব্য করেন এবং শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবী তোলেন।
লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিব কুমার এই অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, 'সারা বিশ্বে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শেখ রাসেল দিবস পালন করা হচ্ছে।' আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং শিশুদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন যে, 'রাসেল হত্যার ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের লাখো নিপীড়িত শিশুর অধিকার আদায়ের পথ উন্মোচিত হবে।'
দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে শেখ রাসেলের জীবন নিয়ে আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার ছোট ছেলে শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত গভীর দুঃখের সঙ্গে মন্তব্য করেন, 'সেদিন ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।'
তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, বিশ্বের কোনও শিশুর এই ধরণের বর্বরতার মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়। তিনি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
| পর্তুগালের লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান পালিত হয়। |
international | লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু | লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দেশটির পূর্বাঞ্চলের দারনা শহরে বসবাসরত অন্তত ৬ বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেছেন।
আজ বুধবার লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
মৃত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনের প্রাথমিক পরিচয় জানতে পেরেছে দূতাবাস।
তারা হলেন-রাজবাড়ি জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার মামুন ও শিহাব। অপর ২ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়া দারনা শহরে বসবাসরত আরও কয়েকজন বাংলাদেশি নিখোঁজ আছে বলে আশঙ্কা করছে দূতাবাস।
ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের তথ্য জানতে এবং ঘূর্ণিঝড়ে নিখোঁজ প্রবাসীদের তথ্য জানানোর জন্য দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার (মোবাইল নম্বর +২১৮৯১৮৫৮০৯৮৯) সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে দূতাবাস।
ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে দারনা, সাহাত, আল-বাইদা, আল-মার্জ শহর ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে দারনা বাঁধে ভয়াবহ ধসে সৃষ্ট বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে দূতাবাস জানিয়েছে।
| লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দেশটির পূর্বাঞ্চলের দারনা শহরে বসবাসরত অন্তত ৬ বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেছেন। |
international | মালয়েশিয়ায় নাইট ক্লাবে অভিযান: ৫ বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৪৫ | মালয়েশিয়ার মেলাকা প্রদেশের একটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশিসহ ৪৫ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেলাকা প্রদেশের বন্দর হিলির তামান মেলাকা রায়ার নাইট ক্লাবে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে বেশ কয়েকজনের কাগজপত্র চেক করার পর ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১৫ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক, সবাই নারী। এই ১৫ নারী ও ৫ বাংলাদেশি ওই নাইট ক্লাবের কর্মচারী। একই সময়ে অন্যান্য প্রদেশের কয়েকটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয় আরও ২৫ জনকে।
সব মিলিয়ে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে অভিবাসন বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, তাদের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট বা পারমিট পাসের শর্ত লঙ্ঘন করে ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে। এরপর প্রোস্টিটিউশন ও বডি ম্যাসেজের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশি নারীদের নাইট ক্লাবে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য রাখা হয়েছিল। ক্লাবে তাদের 'ফুলের নেকলেস' বলে ডাকা হয়। তারা নাইটক্লাবে আসা পুরুষদের মনোরঞ্জন করে প্রতি রাতে জনপ্রতি ২০০ থেকে ১ হাজার রিঙ্গিত আদায় করে আসছিলেন।
নাইটক্লাবের প্রহরী ও ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দুই স্থানীয় ব্যক্তি ছাড়াও একই অভিযোগে ক্লাবটির কর্মচারী ৫ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫)-এর ৫৫বি ধারা ও ৫৬(১)(ডি) ধারা ও ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের ৩৯(বি) ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
| মালয়েশিয়ার মেলাকা প্রদেশের একটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশিসহ ৪৫ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। |
entertainment | গ্রিসে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব | গ্রিসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে।
গত শনিবার ২৭ এপ্রিল এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশি খাবার উৎসবের সঙ্গে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা উদযাপন করা হয়।
এতে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুরা লোকজ ও বৈশাখী পোষাকে সজ্জিত গিতে অংশ নেন। হাতে মেহেদি ও বাঙালী পোশাকের সাজে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিদেশি নাগরিকরাও।
গত শনিবার সকাল থেকেই এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে বৈশাখী আলপনা, নববর্ষের সাজসজ্জাসহ বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী সাজে সজ্জিত করা হয়। নারী-পুরুষ সবাই বৈশাখি পোষাকে সজ্জিত হন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশ কয়েকটি স্টলে বাংলাদেশি খাবার, শাড়ি ও অলংকার সামগ্রী এবং আলপনা সহকারে বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তোলেন।
বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সদস্যবৃন্দ এবং শিশু-কিশোররা বৈশাখী ও লোকজ সংগীত, কবিতা, নৃত্য ইত্যাদি পরিবেশন করেন। শত শত নারী-পুরুষের আগমনে কলকাকলিতে মুখরিত হয় দূতাবাস এবং সৃষ্টি হয় এক বর্ণিল মনোরম পরিবেশের। মেলায় আগমনকারীরা বিভিন্ন স্টলে বাংলাদেশি পণ্য দর্শন এবং বাংলাদেশি খাবারও আস্বাদন করেন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি, গ্রামীণ বাংলার বৈশাখী আবহে স্টলসহ দূতাবাস প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ।
দূতাবাসের কর্মকর্তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে নিয়ে নতুন বছরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা করেন। বিপুল উৎসাহে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাদ্যযন্ত্র সহকারে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
বাংলা বর্ষবরণ উৎসবে যোগ দিয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানিয়ে এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ বলেন, 'বাংলা নববর্ষের উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব, সম্প্রতির উৎসব এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির উৎসব। বাংলাদেশ দূতাবাস এর আয়োজনে প্রবাসীদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈশাখি উৎসবে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি সবাই সম্প্রতির সাথে এবং সৌহার্দের সাথে উৎসব এক সাথে উদযাপন করছি এবং এই উৎসব আমরা সবাইকে সারা বছর এক সাথে থাকার ও এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জোগাবে।'
শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পীবৃন্দ এবং শিশু-কিশোররা বৈশাখী ও লোকজ সংগীত, নৃত্য ইত্যাদি পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের বর্তমান ও সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশি বন্ধুদের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন গ্রিক নাগরিক উপস্থিত হন। এর মধ্যে দুইজন বাঙালি সাজে সজ্জিত হয়ে আসেন। তারা পাঞ্জাবী ও হাতে মেহেদি দিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হন। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপের শুরুতেই 'কেমন আছেন ভাই' বলে বাংলা ভাষায় সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তারা বলেন বাংলার সংস্কৃতি তাদের খুব ভালো লাগে। তাই এক বন্ধুর আমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠানে বাঙালির সাজে এসেছেন।'
| গ্রিসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে। |