category
stringclasses 7
values | title
stringlengths 4
148
| text
stringlengths 22
34.6k
| summary
stringlengths 1
8.73k
|
---|---|---|---|
international | ব্রিটিশ এম্পায়ার মেডেল পেলেন রেহানা খানম রহমান | ব্রিটেনের রাজ পরিবারের দেওয়া 'মেডেল অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার' পদকে ভূষিত হয়েছেন রেহানা খানম রহমান। বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক রেহানা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক।
স্নাতক অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৭৭ সালে সিলেট থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমান রেহানা। তিনি গ্রিনিচ ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ৩৫ বছর বিভিন্ন পেশা ও শিক্ষকতা শেষ করে তিনি ২০১৪ সালে অবসর নেন। তিনি এখন তার পরিবারের সঙ্গে লন্ডন শহরে বসবাস করছেন।
রেহানার বাবা আতাউর রহমানও ১৯৬৭ সালে অবিভক্ত পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজেকে নিয়োগ করেছেন মানবতার সেবায়। শিক্ষকতা, লেখালেখি ও সমাজসেবার জন্য তিনি ব্রিটিশ বাংলাদেশি সমাজে সুপরিচিত।
কয়েকটি বইয়ের গ্রন্থকার রেহানা কলম একাডেমি লন্ডনের উপদেষ্টা। তিনি পরিবেশবাদী সংগঠন অমরাবতির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।
চার সন্তানের মা রেহানা। তারা সন্তানরাও দেশে-বিদেশে চিকিৎসা ও অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
| ব্রিটেনের রাজ পরিবারের দেওয়া 'মেডেল অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার' পদকে ভূষিত হয়েছেন রেহানা খানম রহমান। বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক রেহানা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক। |
international | কুয়ালালামপুরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশিদের ১৮ প্রতিষ্ঠান সিলগালা | মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিকদের পরিচালিত ১৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে দেশটির কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশনের (ডিবিকেএল) এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট।
গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর আশেপাশের জালান কুচাই লামা, জালান পান্তাই দালাম, তামান মেলাতি গোমবাক, জালান পুডু চেরাস, জালান জিনজান, তামান ফাদাসন কেপং, জালান দেশা তাসিক সুঙ্গাই বেসি ও পেকানের ৮ স্থানে অভিযান চলাকালে মোট ২৫টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ১৮টি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
সিটি করপোরেশন বলছে, বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের মালিকানাধীন এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বৈধ কোনো ব্যবসায়িক কাগজপত্র না থাকায় সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে।
২৪ আগস্ট ফেসবুকে এক বিবৃতিতে ডিবিকেএল বলেছে, বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের মালিকানাধীন কার ওয়াশ, পোশাক, ব্যাগ, মোবাইল ফোন সরঞ্জাম, রেস্টুরেন্টসহ ২৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। বৈধ ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে ১৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিদেশিদের নিয়োগ এবং ডিবিকেএল থেকে লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করায় মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়।
কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন বলছে, ১১টি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় বিদেশি নাগরিক পরিচালিত যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব এলাকায় ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত চলবে।
লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক
| মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিকদের পরিচালিত ১৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে দেশটির কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশনের (ডিবিকেএল) এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। |
international | মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে | মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে দুই জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে মো. কামরুল হোসেন ও একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. দুলাল মিয়া।
এই দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, দুজনেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন। তারা একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরওমালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
রোববার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের কাজাং কেটিএম পুনচাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এ দুর্ঘটনায় নিহত হন এই দুই বাংলাদেশি।
সোমবার সকালে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বার্নামার প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বাংলাদেশি ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।
দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি এবং একজন ইউএনকার্ডধারী মিয়ানমারের নাগরিক। নিহতদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং তাদের আকস্মিক মৃত্যু হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাজাং জেলা পুলিশের উপ-প্রধান সুপার মোহাম্মদ নাসির দ্রাহমান ।
আরওমালয়েশিয়ায় প্রতারণার শিকার, চাকরিহীন ১০৪ বাংলাদেশি
তিনি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'ময়নাতদন্তের জন্য দুই নিহত বাংলাদেশির মরদেহ কাজাং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে।'
এ ছাড়াও, দুর্ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে আর কোনো তথ্য থাকলে তদন্তের স্বার্থে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন বা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসজেন আরিফিনকে ০১২-২৪৪৪৬০৮ নাম্বারে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা নাসির।
রোববার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের কাজাং কেটিএম পুনচাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এ দুর্ঘটনায় নিহত হন এই দুই বাংলাদেশি।
সোমবার সকালে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বার্নামার প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বাংলাদেশি ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।
দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি এবং একজন ইউএনকার্ডধারী মিয়ানমারের নাগরিক। নিহতদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং তাদের আকস্মিক মৃত্যু হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাজাং জেলা পুলিশের উপ-প্রধান সুপার মোহাম্মদ নাসির দ্রাহমান ।
তিনি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'ময়নাতদন্তের জন্য দুই নিহত বাংলাদেশির মরদেহ কাজাং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে।'
এ ছাড়াও, দুর্ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে আর কোনো তথ্য থাকলে তদন্তের স্বার্থে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন বা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসজেন আরিফিনকে ০১২-২৪৪৪৬০৮ নাম্বারে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা নাসির।
| মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে দুই জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে মো. কামরুল হোসেন ও একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. দুলাল মিয়া। |
international | ঢাকা-আবুধাবি রুটে বন্ধ হচ্ছে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট | সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আয়াটা অনুমোদিত বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্ট হেলমাক ট্রাভেলস এলএলসির পরিচালক জামিল কাইয়ূম বলেন, 'ইতোমধ্যে আমাদেরকে ইতিহাদ থেকে মেইল করে এবং আয়াটা অনুমোদিত পোর্টালের মাধ্যমে সব এজেন্সিকে জানিয়ে দিয়েছে। তবে কী কারণে ফ্লাইট স্থগিত করছে এ বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করেনি ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।'
আগামী ৬ নভেম্বর ইতিহাদে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল মুহাম্মদ খোকনের। তিনি জানান, তাকে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ মেইল দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাভেল এজেন্ট বা নিকটস্থ ইতিহাদের অফিস থেকে টাকা ফেরত নিয়ে যেতে।
গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ফর এয়ারলাইনস মাধ্যমে জানিয়েছে, যারা ইতোমধ্যে ইতিহাদের টিকিট কেটে ফেলেছেন তাদের টিকিটের টাকার পুরো অংশ ফেরত দেওয়া হবে। কোনো ধরনের জরিমানা বা প্রশাসনিক ফি কাটা হবে না। কেউ যদি রিটার্ন টিকিট কেটে ওয়ানওয়ে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তার ফিরতি ফ্লাইটের টাকা ফেরত দিয়ে দেবে তারা।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ২০০৬ সাল থেকে আবুধাবি থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে আবুধাবি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। তাদের সর্বশেষ ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়বে ২৮ অক্টোবর।
| সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। |
entertainment | মিশিগানে জেমস উন্মাদনা | যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান মাতালেন ব্যান্ড তারকা জেমস। ডিট্রয়েট সিটির বাংলা টাউন নামে জেইন ফিল্ডের মেলা প্রাঙ্গণে গত রোববার প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ও আমেরিকান দর্শক-স্রোতা তার গিটারের সুর ও গানে আনন্দে মেতে ওঠেন।
রোববার ছিল ৩ দিনব্যাপী ২২তম নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালের শেষ দিন।
দুপুর থেকেই দর্শক-স্রোতা আসতে থাকেন মেলা প্রাঙ্গণে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ খ্যাত কনান্ট-ডেভিসন রোডের ট্রাফিক জ্যাম সরাতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়। সময় যত গড়াতে থাকে বাংলাদেশিদের আগমন ততই বাড়তে থাকে।
আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টায় নগর বাউলের জেমসের আসার কথা থাকলেও প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে ও তাকে দেখতে দুপুর থেকেই অপেক্ষা থাকেন মাঠভর্তি দর্শক-শ্রোতা।
অভিনেতা রীচি সোলায়মান ও শারমিনা সিরাজ সোনিয়া যখন ২২তম নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালে ব্যান্ডের নাম উচ্চারণ করেন, তখনই শুরু হয় দর্শকদের তুমুল করতালি। রাত ১০টায় স্টেজে আসেন জেমস।
জেমসের আমেরিকা সফরে কয়েকটি কনসার্ট হলেও মিশিগানে ছিল সর্বশেষ ও উন্মুক্ত কনসার্ট। এই কনসার্টে মিশিগান ছাড়াও ওহাইও, শিকাগো (ইলিনয়স), নিউজার্সি ও কানাডা থেকে কয়েক শ' বাংলাদেশি জড়ো হন প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে।
মাথায় গামছা বেঁধে, গিটার হাতে সুর তুলতেই পুরো মাঠে শুনশান নিরবতা, 'কবিতা' গান দিয়ে শুরু হয় কনসার্ট। নির্ধারিত গানের বাইরে দর্শকদের অনুরোধে একে একে আরও অনেকগুলো জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন এই তারকা শিল্পী।
প্রিয় শিল্পীকে সামনে থেকে দেখে ভক্তদের অনেকেই জানান, জেমসের অনেক গান শুনেছেন তারা, কখনো সরাসরি দেখননি। মেলায় তাকে কাছ থেকে দেখা ছিল স্বপ্নের মতো।
আরও পারফর্ম করেন আরেক তারকা সংগীতশিল্পী রিজিয়া পারভিন, প্রবাসী শিল্পী পৃথা দেব, রিয়া রহমান, প্রেমা রহমানসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশি মালিকাধীন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ, ডিট্রয়েট সিটি কাউন্সিলর স্কাট বেনসন, বেপাকের চেয়ারম্যান এহসান তাকবিম ববিভ।
উপস্থিত ছিলেন আকিকুল হক শামীম, নাসির সবুজ, খালেদ আহমদ, সাকের উদ্দিন সাদেকসহ আয়োজক কমিটির সদস্যরা।
মেলায় ছিল দেশীয় কাপড়ের দোকান ও খাবারের স্টল।
লেখক: মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
| যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান মাতালেন ব্যান্ড তারকা জেমস। ডিট্রয়েট সিটির বাংলা টাউন নামে জেইন ফিল্ডের মেলা প্রাঙ্গণে গত রোববার প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ও আমেরিকান দর্শক-স্রোতা তার গিটারের সুর ও গানে আনন্দে মেতে ওঠেন। |
economy | কোরিয়াফেরত ৩ শতাধিক ইপিএস কর্মী বিমার টাকা ফেরত পাবেন | কোরিয়াফেরত তিন শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী যারা এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) এ দেশটিতে গিয়েছিলেন তাদের বিমার টাকা ফেরত দেবে দক্ষিণ কোরিয়া।
আজ বুধবার কোরিয়া দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সব কর্মীকে বিমার আওতাধীন হতে হয় এবং কোরিয়া থেকে ফেরত আসার সময় সেই বিমার অর্থ নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু কিছু কর্মী সেই বিমার অর্থ ফেরত নিয়ে আসতে ভুলে যান। এরকম প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী বিমার টাকা পাবেন। যার পরিমান মাথাপিছু ৩০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
২০০৮ সাল থেকে ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়াতে কর্মী যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬১ জন কর্মী কোরিয়াতে গিয়েছে। শুধু মাত্র এই বছরই ৫ হাজার ৬০০ কর্মী কোরিয়াতে যাচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকাস্থ এইচআরডি কোরিয়া সেন্টার কোরিয়াফেরত ইপিএস কর্মীদের বিমার অর্থ ফিরিয়ে দিতে দশ বছর যাবত বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীদের খোঁজ করে যাচ্ছে । এই পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীদের একটি তালিকা HRD Korea EPS Center in Bangladesh এর ফেসবুক পেজে https://www.facebook.com/profile.php?id=100044257253995 আজ প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকায় উল্লিখিত সবাই আবেদন করতে পারবেন বামার অর্থের জন্য। এছাড়া তালিকাভুক্ত কেউ যদি জীবিত না থাকেন সেক্ষেত্রে বিবাহিত হলে স্ত্রী কিংবা সন্তান, অবিবাহিত হলে পিতা-মাতা যথোপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
| কোরিয়াফেরত তিন শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী যারা এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) এ দেশটিতে গিয়েছিলেন তাদের বিমার টাকা ফেরত দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। |
state | কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র | মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
আজ বুধবার কুয়ালালামপুরের জালান আমপাং এলাকায় নতুন এ সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার এটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার মো. খোরশেদ আলম খাস্তগীর, মিনিস্টার (শ্রম) মো. নাজমুস সাদাত সেলিম, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মো. হাসান তারিক মন্ডল, দূতালয় প্রধান ও কাউন্সেলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের নতুন ঠিকানা হলো ৩০ জালান আমপাং, কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার।
পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্রের সেবা পাওয়া যাবে সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
শনিবার ও রবিবার এ সেবাকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
| মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। |
sports | ওমানের জাতীয় লীগে বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের সাফল্য | মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের জাতীয় লীগের 'সিনিয়র ডি' বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব।
দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় 'সিনিয়র ডিভিশন টি ২০ ক্রিকেট লিগ' এর 'ই' ডিভিশনের গ্রুপ পর্বে রানার আপ হয়ে এ অর্জন প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী ক্লাবটির।
৮টি দলের এ গ্রুপে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রবাসী ভারতীয়দের দল 'ন্যাশনাল টেকনিক্যাল সার্ভিস (এনটিএস)'। চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে ১০ পয়েন্ট নিয়ে 'সিনিয়র ডি' ডিভিশনে উঠেছে রানার আপ বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব।
শুক্রবার রাজধানী মাস্কাটের আমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের শেষ ও রানারআপ নির্ধারণী খেলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব ২৫ রানে প্রবাসী ভারতীয় ও পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া পেইস প্লেয়ার্সকে পরাজিত করে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক আরফাজ। ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সাইফুল ইসলাম ৩৭ বল খেলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন। এ ছাড়া মিরাজ ১১ বলে ১৮ রান, ওবায়েদ খান ১১ বলে ১৩ রান, আলম ৭ বলে ১৭ রান, সোহাগ ২২ বলে ২৩ রানের স্কোর তোলেন।
প্রতিপক্ষ পেইস প্লেয়ার্সের মোহাম্মদ আবরার ৩৭ রানে ৩ উইকেট, সুখন্দর সিং ২৮ রানে ২ উইকেট এবং জহির ৩৭ রানে ২ উইকেট নেন।
জবাবে পেইস প্লেয়ার্স ১৭২ রানের জন্য খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। তেজেশ শেঠি ৩৩ রান এবং কামেশ মহারাজা ওআলী হাসান ২১ রান করে সংগ্রহ করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের ওবায়েদ ২২ রানে ২ উইকেট এবং সানি, মিজান, সাইফুল, আলম ১টি করে উইকেট করে নেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের সাইফুল ইসলাম ৫৯ রান ও ২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও সাইফুল ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের জন্য সেরা ব্যাটসম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন।
ওমানি ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশি অনেকে দর্শক মাঠে খেলা উপভোগ করেন। মাঠে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের পৃষ্টপোষক ও কর্মকর্তারাও।
২০২২ সালে ক্রীড়াপ্রেমী কয়েকজন প্রবাসী উদ্যোক্তার হাতে ধরে যাত্রা শুরু করে 'বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব'। প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ ও উৎসাহী খেলোয়াড় নিয়ে গড়া ক্লাবটি খুব কম সময়ে ওমানের ক্রীড়াপ্রমীদের কাছে পরিচিত পায়, সেসঙ্গে পায় ধারাবাহিক সাফল্য। 'এফ' দিয়ে শুরু করে গত বছরই 'ই' ডিভিশনে উঠে। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে 'ডি' ডিভশনে জায়গা করে নিলো। ক্লাবটির একটি নারী ক্রিকেট দলও আছে।
নতুন সাফল্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বেশ উচ্ছাসিত ক্লাব কর্মকতারাও।
ক্লাব প্রেসিডেন্ট আশরাফুর রহমান বলেন, 'মাত্র ২ বছরের মধ্যে এ পর্যায়ে আসতে পারব বলে আমাদের ভাবনায় ছিল না। তবে বিশ্বাস ছিল, আমাদের খেলোয়াড়রা যে পরিশ্রম-অনুশীলন করছে তাতে লক্ষ্য পৌঁছাতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। এখন আমরা আরও বড় স্বপ্ন দেখতে পারি।'
ওমান ক্রিকেট বোর্ড, পৃষ্টপোষক, খেলোয়াড় ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ক্লাব সেক্রেটারি শেখ ফাহাদ বলেন, 'আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। দলকে আরও দক্ষ-প্রশিক্ষিত করে তুলতে আমরা বড় পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি। প্রত্যাশা করি, এ ক্ষেত্রে পৃষ্টপোষক ও বাংলাদেশিদের সমর্থন-সহায়তার কমতি হবে না।'
| মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের জাতীয় লীগের 'সিনিয়র ডি' বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাব। |
international | ২০২৩ সালে দেশে এসেছে রেকর্ড ৪৫৫২ প্রবাসীর মরদেহ | পরিবারের দারিদ্র ঘোচাতে ২০১৯ সালে শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরব যান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাবিব খালাসী। কিন্তু গত বছর লাশ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
রিয়াদে মেটাল-স্ক্র্যাপ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এক সন্তানের পিতা হাবিব (৩৩)। সৌদি রাজধানীর বাইরে একটি এলাকায় পুরোনো ক্যামেল শেডে কাজ করার সময় গত ৩ মে মাথায় লোহার বড় টুকরো এসে পড়লে মৃত্যু হয় হাবিবের।
হাবিবের ছোট ভাই মাহবুব খালাসী টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হাবিব যখন সৌদিতে যান, তখন তার পরিবারে ব্যাপক আর্থিক সংকট ছিল। কিন্তু সৌদিতে যাওয়ার পর হাবিব যখন টাকা পাঠাতে শুরু করেন, তখন তার পরিবার ভেবেছিল তাদের টানাপোড়েন শেষ হয়েছে।
হাবিবের মৃত্যুর পর এখন তার বৃদ্ধ বাবা-মা ও নাবালক সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের (ডব্লিউইডব্লিউবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে রেকর্ড চার হাজার ৫৫২ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে। তাদের একজন হাবিব। এর আগের বছর দেশে আসে তিন হাজার ৯০৪ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ।
স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছরই বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে যান। বিশেষ করে, বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্যস্থল মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু তাদের অনেককেই দেশে ফিরতে হয় লাশ হয়ে।
ডব্লিউইডব্লিউবি ১৯৯৩ সালে প্রথম এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৫১ হাজার ৯৫৬ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে। গত ১০ বছরে এসেছে ৩৪ হাজার ৩২৩ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ।
ডব্লিউইডব্লিউবির বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে এসেছে ১৭ হাজার ৮৭১ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ। এর ৬৭ দশমিক চার শতাংশই এসেছে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) আওতাভুক্ত ছয় দেশ থেকে। দেশগুলো হলো—সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন।
মরদেহগুলোর মধ্যে পাঁচ হাজার ৬৬৬টি এসেছে সৌদি আরব থেকে, এক হাজার ৯১৩টি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও এক হাজার ৮৯৩টি ওমান থেকে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এক কোটি ৬০ লাখ শ্রমিকের ৭৬ দশমিক তিন শতাংশই গিয়েছেন জিসিসির ছয় দেশে।
সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Migrant Workers: Record 4,552 returned home dead last year
| পরিবারের দারিদ্র ঘোচাতে ২০১৯ সালে শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরব যান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাবিব খালাসী। কিন্তু গত বছর লাশ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি। |
international | সিডনিতে ছুরিকাঘাতে নিহতদের স্মরণে অপেরা হাউজে কালো ব্যাজ | অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি শপিং সেন্টারে গণহত্যার শিকারদের শোক ও সম্মান জানাতে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে আইকনিক স্থাপত্যের ল্যান্ডমার্ক কালো ফিতা দিয়ে আলোকিত হয়েছে।
গত শনিবার সিডনির পূর্ব শহরতলির বন্ডাই জংশন ওয়েস্টফিল্ড শপিংমলে ছুরিকাঘাতে ৬ জন মারা গেছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ জন। গত রোববার নিহতদের সম্মানে সরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ ঘোষণা করেছিলেন যে ফেডারেল সংসদ ভবনসহ অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত সরকারি ভবন 'শোক ও শ্রদ্ধা' জানাতে তাদের পতাকা নামিয়ে দেবে।
রাত নামার সাথে সাথে সিডনি অপেরা হাউস তার কিংবদন্তি বাঁকা সাদা পালগুলো একটি কালো ফিতা দিয়ে রূপান্তরিত করেছে।
গোয়েন্দারা এখনও শপিং সেন্টারে ভয়ঙ্কর ছুরিকাঘাতের তাণ্ডব সংক্রান্ত প্রমাণগুলো একত্রিত করার জন্য কাজ করছে।
ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় ১২ জন হাসপাতালে রয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ৯ মাস বয়সী একটি শিশুসহ বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি শপিং সেন্টারে গণহত্যার শিকারদের শোক ও সম্মান জানাতে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে আইকনিক স্থাপত্যের ল্যান্ডমার্ক কালো ফিতা দিয়ে আলোকিত হয়েছে। |
international | আরব আমিরাতে গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশির মৃত্যু | সংযুক্ত আরব আমিরাতের উম্মুল কুয়াইনে গাড়ির ধাক্কায় এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার নাম নুরুল আমিন (৩৪)।
গতকাল বুধবার উম্মুল কুয়াইন শহরে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে গুরুতর আহত হন আমিন।
পরে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আমিনের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। তিনি হাটহাজারীর আলাওল পাড়ার ফতেহপুর গ্রামের মৃত জেবল হোসেনের ছেলে।
আমিনের স্বজন সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আমিরাতে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দেশে পাঠানো হবে।
| সংযুক্ত আরব আমিরাতের উম্মুল কুয়াইনে গাড়ির ধাক্কায় এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার নাম নুরুল আমিন (৩৪)। |
education | উচ্চশিক্ষায় ভাষার দেয়াল ও সাংস্কৃতিক অভিঘাত | যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসবার পর প্রথম কয়েক মাস লেগেছিল এখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে 'স্বাভাবিক' যোগাযোগ করতে। সেই ছোটবেলায় ইংরেজি শিক্ষার হাতেখড়ি হলেও একেবারে পশ্চিমে না আসা পর্যন্ত বোঝা সম্ভব হয়নি; স্থানীয়দের উচ্চারণ, ভাষার অর্থ কত ভিন্ন হতে পারে।
ক্লাসে লেকচার তো ঠিকই বুঝতাম, তবে সহপাঠীদের সঙ্গে আলাপে কিংবা কোনো আয়োজনে যেখানে আনুষ্ঠানিকতার ধার কেউ ধারে না, সেখানে আড্ডা বা গল্পের সময় পার্থক্যগুলো বেশ বোঝা যেত। প্রথমদিকে মনে হতো, এত গ্রামার, নিয়ম শেখা একেবারেই বৃথা। কেন না একেক লোকালয়ের উচ্চারণ, বচনভঙ্গি যে আলাদা হবে এটা অকাট্য সত্য।
তবে এ নিয়ে এখানকার কারও মধ্যে কোনো সংকোচ বা মাথাব্যথা দেখিনি। না অধ্যাপক, না আমার আমেরিকান সহপাঠী। এমনকি আমার দেড়শ শিক্ষার্থীর মধ্যেও না। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ তুলনামূলকভাবে তাও বেশ ভালো ইংরেজি রপ্ত করি। বিশেষ করে বলবার ক্ষেত্রে, কীভাবে সূক্ষ্ম স্যাটায়ার যোগ করে, কখনো ভারী বাক্যকে হাসির ছলে সংক্ষেপে বলে দেওয়া। বেশি দুর্বোধ্য ঠেকে পূর্ব এশিয়ার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, এমনকি শিক্ষকদের ইংরেজিকে।
মাঝে মধ্যে ভাবনায় পড়ে যেতাম, ক্লাসে এদের লেকচার শিক্ষার্থীরা বোঝেই বা কীভাবে! তবে যা বলছিলাম, এ নিয়ে এখানকার কারও তেমন মাথাব্যথা নেই। যোগাযোগ হলেই হলো। তুমি যে চেষ্টা করছো, সেটা আসল কথা।
মূল কথা হলো, ছোটবেলা থেকে আমরা যে হীনম্মন্যতায় বড় হই, ইংরেজি ভালোভাবে বলতে না পারার কারণে কিংবা একমাত্র এই ভাষাজ্ঞান দিয়েই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে জাহির করবার যেই বিষয়টা চলমান, সেটা এখানকার স্থানীয়দের মধ্যেই নেই। এমনকি চীন কিংবা কোরিয়ার মানুষদের এখানে দেখেছি, ইংরেজি খুব নির্ভুলভাবে রপ্ত করতে না পারায় তাদের কোনো দ্বিধা নেই। বরং ক্লাসের শুরুতেই কোনো ভণিতা ছাড়া খুব সরলভাবে স্বীকার করে নেয় যে 'ইংরেজি আমার মাতৃভাষা নয়। আমি আমার মাতৃভাষাতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ বোধ করি'। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী, সবার মূল উদ্দেশ্য হলো ক্লাসের পড়া এবং পড়ার যত গবেষণাপত্র সেগুলো ঠিকমতো আয়ত্ত করতে পারছে কি না।
হ্যাঁ, একটা বিষয় তো থাকেই। যদি অধ্যাপকের সঙ্গেই পরিষ্কারভাবে আলোচনা করা না গেল তাহলে কীভাবে হবে? কিংবা এখানে অনেক আলোচনা করতে হয় ক্লাসে। ভালো বলতে না পারলে নিশ্চয়ই কিছুটা খারাপ লাগে। সেজন্যও আমার অনেক আফ্রিকার সহপাঠীদের দেখেছি, শুরুতেই স্বীকারোক্তি করে নিতে যে আমি এখানকার স্থানীয় নই। কারও বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে আবার জিজ্ঞেস করো। কিংবা ই-মেইলে চাইলেই কেউ সেই বিষয়ে প্রশ্ন লিখে পাঠাতে পারে। একজন পূর্ব এশিয়ার অধ্যাপককেও দেখেছি, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন যখন বুঝতে পারছিলেন না, তিনি সরল অভিব্যক্তি নিয়েই বলেছিলেন, তাকে প্রশ্নগুলো লিখে দিতে। শিক্ষার্থীরাও এ নিয়ে কোনো বিদ্রূপ করেনি। যেহেতু অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী থাকেন তাই ক্লাসের পরিবেশটাই থাকে নানা সংস্কৃতির, অনেক বৈচিত্র্যের।
আমার একজন ইতালির শিক্ষক আছেন, যিনি দীর্ঘ সময় এখানেই উচ্চশিক্ষা শেষে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু উনার ইংরেজি ভাষা একান্তই ইতালির স্থানীয়দের মতো। যা আমার মতো দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের থেকেও অনেক আলাদা। মার্কিনীদের কথা না হয় বাদই দিলাম। একদিন ক্লাসে উনি কথায় কথায় বলছিলেন, 'আমি তো এখানকার নই। আমার উচ্চারণ তো এমন হবে। এবং আমি এটা পরিবর্তনও করতে চাই না'। ক্লাসে উনি প্রয়োজনে একই বিষয় বারবার তুলে ধরেন যাতে কোনো শিক্ষার্থীর বুঝতে কোনো সমস্যা না হয়। ই-মেইলে প্রয়োজনীয় প্রতিটি ডকুমেন্ট উনি সিমেস্টারের শুরুতেই পাঠিয়ে রাখেন, যাতে কোথাও কোনো কিছু বাদ না পড়ে যায়। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য এবং কাউন্সেলিং সেন্টারগুলোয় চেষ্টা করা হয় বিভিন্ন ভাষা অন্তর্ভুক্ত করতে, যাতে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী তার নিজ মাতৃভাষায় স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েই সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে পারে।
তাই ভাবছিলাম, আমরা নিজেদের দেশে বসেই ভিন্ন একটি ভাষা রপ্ত করা নিয়ে কত শ্রম ব্যয় করি। একটু ভিন্ন আদলে বলতে শিখলে আমরা কতটা ভিন্ন ভাবি নিজেদের। অবশ্যই এই বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজি এবং তার পাশাপাশি আরও একটি-দুটি ভাষা রপ্ত করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু নিজেদের মাতৃভাষাকে অবশ্যই অবজ্ঞা করে নয়। যে ভাষার এত সুন্দর ইতিহাস আছে, তাকে তো কোনোভাবেই তুচ্ছ করা যায় না। এবং এতে বিশেষত্বও যে কিছু নেই তা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও স্পষ্ট।
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসবার পর প্রথম কয়েক মাস লেগেছিল এখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে 'স্বাভাবিক' যোগাযোগ করতে। সেই ছোটবেলায় ইংরেজি শিক্ষার হাতেখড়ি হলেও একেবারে পশ্চিমে না আসা পর্যন্ত বোঝা সম্ভব হয়নি; স্থানীয়দের উচ্চারণ, ভাষার অর্থ কত ভিন্ন হতে পারে। |
international | মালয়েশিয়ায় নদী থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার | মালয়েশিয়ার সারওয়াক রাজ্যের কুচিংয়ের জালান গম্বিরের ভাসমান মসজিদের পাশের একটি নদী থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নদীতে পড়েই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফান সাদিকের (২১) মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র বেরিতা হারিয়ান প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাদুঙ্গান ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশন (বিবিপি) এবং পিপিডিএ বাটু লিন্টাংয়ের কর্মীরা।
সারাওয়াক ফায়ার অপারেশনস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, সারওয়াক রাজ্যের কুচিংয়ের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন ইরফান। বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে ওয়াটার রেসকিউ টিম (পিপিডিএ) ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ মিটার দূরে তাকে খুঁজে পায়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য সাদিকের মরদেহ স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইরফানের বাড়ি বাংলাদেশে কোথায়, তা এখনো জানা যায়নি।
| মালয়েশিয়ার সারওয়াক রাজ্যের কুচিংয়ের জালান গম্বিরের ভাসমান মসজিদের পাশের একটি নদী থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। |
entertainment | অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের অন্যতম সেরা আতশবাজি উৎসব আজ | নতুন বছরের প্রথম প্রহরে বিশ্বের অন্যতম সেরা আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করেছে অস্ট্রেলিয়া।
সিডনির অপেরা হাউজ ও হারবার ব্রিজকে ঘিরে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ উপভোগ করে এই উৎসব।
এ বছরের উৎসবে ১২ লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবে বলে সিডনি সিটি কাউন্সিল গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
আয়োজকরা জানান, এবার গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রদর্শনী হবে।
নববর্ষের এই আতশবাজি প্রদর্শনের জন্য ৬০ জন ক্রু, ১৮ কনটেইনার সরঞ্জাম, ৬টি বার্জ এবং ৪টি পন্টুন প্রস্তুত করা হয়েছে।
শহরের ৫টি উঁচু ভবনের ছাদ এবং আইকনিক ল্যান্ডমার্ক অপেরা হাউজ ও হারবার ব্রিজ থেকে প্রক্ষেপণ করা হবে আতশবাজি।
এ আয়োজনের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ফরচুনাটো ফোটি বলেছেন, আশা করি সবাই বলবেন যে এটি ছিল সেরা এবং প্রত্যেকে একটি দুর্দান্ত সময় পার করেছে।
সপ্তম প্রজন্মের পাইরোটেকনিশিয়ান ফরচুনাটো ফোটির পরিবার ১৭৯৩ সাল থেকে আতশবাজি তৈরি করে আসছে।
আজ ৩১ ডিসেম্বর রাত ৯টায় এবং মধ্যরাতে প্রদর্শিত আতশবাজির প্রধান থিম থাকবে অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
চিত্রকর জ্যানেল বার্গারের সঙ্গে 'ফার্স্ট নেশনস সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ উই আর ওয়ারিয়র্স' এর তৈরি একটি প্রজেকশনের মাধ্যমে আদিবাসী সংস্কৃতি ও পরিচয় তুলে ধরা হবে।
উই আর ওয়ারিয়র্সের প্রতিষ্ঠাতা নুকি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার যেখানেই যাবেন সেখানেই আদিবাসীদের ভূমি।'
এ বছর উজ্জ্বল সাদা, পিচ, চুন, রূপা, সোনা, বেগুনি, হলুদ, পোড়া কমলা, গোলাপি এবং নীল আতশবাজি থাকবে।
উৎসবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি ভিজ্যুয়াল অ্যানিমেশন সন্ধ্যা জুড়ে হারবার ব্রিজের তোরণগুলোতে প্রজেক্ট করা হবে।
মধ্যরাতের ১২ মিনিটের প্রদর্শনীতে সাপের আকারে বায়বীয় শেল, শনির রিং এবং ঘোড়ার লেজের উইলো শেল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এবারের উৎসবে এক বছরের শেষ এবং অন্য বছরের শুরুকে চিহ্নিত করতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার থিম সংযুক্ত করা হয়েছে, যা আতশবাজি ও মিউজিকের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আজ সিডনি শহরকে আলোকিত করবে ৮ দশমিক ৫ টন আতশবাজি।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| নতুন বছরের প্রথম প্রহরে বিশ্বের অন্যতম সেরা আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করেছে অস্ট্রেলিয়া। |
international | কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সিডনিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ | কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ল্যাকেম্বা ওয়ার মেমোরিয়ালের সামনে দ্য ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস), ম্যাকুয়েরি বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জব্রাউন, ইম্পেরিয়াল কলেজসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কলেজ, ইন্সটিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এ সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষার্থী কে এম ধ্রুব বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম অস্ট্রেলিয়া। এখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চলমান আন্দোলনে যুক্ত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। আমরা আন্দোলনে হতাহতদের চিকিৎসা ব্যয় পাঠিয়ে, অনলাইন প্লাটফর্মে লেখালেখি করে এবং বিদেশি গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আরফিন রাব্বি, রাসেল সিদ্দিক, দিসার আহমেদ, তানজি আক্তার, মুবিন হাসান প্রমুখ।
বক্তারা জানান, 'কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশের সাম্য ও ন্যায়বিচারের দাবির প্রতিফলন। আমরা চাই এই আন্দোলন সফল হোক এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।'
সমাবেশ শেষে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ল্যাকেম্বা ওয়ার মেমোরিয়াল থেকে বিএইচসি মেডিকেল সেন্টার পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন। |
international | জাপানে সর্বজনীন পূজা কমিটি | অবশেষে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দু কমিউনিটিতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। জাপানে নতুন পূজা উদযাপন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পূজা ও মন্দিরের অনুদানের লেনদেনের হিসাব বই না দেখানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে গত দুই বছর ধরে হিন্দু কমিউনিটিতে বিবাদ চলছিল।
এর প্রভাব পড়েছিল গত সরস্বতী পূজায়। আগের পূজাগুলোতে যেসব কর্মীকে সকাল থেকে পূজার মণ্ডপে দেখা যেত, তাদের বেশিরভাগ অনুপস্থিত ছিলেন পূজায়।
অবশেষে চলতি বছরের ১৯ মে পূজা কমিটির সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। সভায় উপস্থিত পূজা কমিটির ৩৩ জন সাবেক সদস্যদের উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কানু গোপাল কুন্ডুকে সভাপতি ও রতন বর্মণকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩০ সদস্যের পূজা কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।
সভায় পূজা কমিটির গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয় এবং সাবেক উপদেষ্টাদের নামে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় করা সব কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জাপান প্রবাসী হিন্দু কমিউনিটি নতুন কমিটির কাছে কমিটির কার্যক্রমের জবাবদিহিতা এবং হিসাব-নিকাশের স্বচ্ছতা প্রত্যাশা করছে।
| অবশেষে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দু কমিউনিটিতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। জাপানে নতুন পূজা উদযাপন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। |
international | আমিরাতের ভিসা: বাংলাদেশিদের ভুয়া সনদ ব্যবহার বন্ধে কঠোর হলো কর্তৃপক্ষ | ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সনদ দেখিয়ে দক্ষ কর্মী ক্যাটাগরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পাওয়ার পথ বন্ধ হলো। মূলত বাংলাদেশিদের ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট ব্যবহার বন্ধে কঠোর হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
২০১২ সালের আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রম ভিসা বন্ধ ঘোষণা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গৃহকর্মী ও পেশাজীবী উচ্চ শিক্ষিত কর্মীদের ভিসা চালু রাখা হয়৷ তবে করোনা পরবর্তী সময় কয়েক বছরে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আমিরাতে এসে কাজের ভিসায় রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় এ সময় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি। এরমধ্যে ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে ৪২ হাজার বাংলাদেশি এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।
তবে জুন মাস থেকে আবারও বাংলাদেশিদের সাধারণ শ্রমিক ভিসা, ভ্রমণে এসে ভিসা পরিবর্তন এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগও বন্ধ করে দেয় আমিরাত সরকার। কেবলমাত্র দুবাই শহরে উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য স্কিল ভিসা চালু রাখা হয়৷ এই সুযোগে অসাধু একটি চক্র অনলাইনে ভুয়া সনদ দাখিল করে ভিসা পাইয়ে দিচ্ছিল৷
এই পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট জমা দিয়ে গত তিন দিন ধরে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না বলে একাধিক বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সির সূত্রে জানা গেছে৷
দুবাই থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রাভেল এজেন্সির ম্যানেজার সোহেল আহমদ জানান, 'গত দুই দিন থেকে সঠিক সার্টিফিকেট অনলাইনে দাখিলের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। সার্টিফিকেট কপি নিয়ে লেবার অ্যান্ড ইমিগ্রেশন দপ্তরে গিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। ভুয়া সনদ দাখিল করে ভিসা আবেদনের কারণেই এমনটা হয়েছে।'
দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, প্রতিদিন কনস্যুলেটে প্রায় ৬০০-৭০০ ভিসা সত্যায়নের আবেদন আসত৷ যার সবগুলো দক্ষ শ্রমিক ভিসা। কিন্তু ভিসা সত্যায়নের সময় শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেগুলো শতভাগই ভুয়া। এমনটা চলতে থাকলে দুবাইয়ে ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স, আইসিটি গ্রাজুয়েটদের ভিসা পাওয়ার সুযোগ হারানোর আশঙ্কা আছে।
আমিরাতের শারজাহ প্রবাসী নাজমুল হক বলেন, 'কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে৷ সার্টিফিকেট নকল করে ভিসার জন্য আবেদন করে অনেকেই ভিসা পেয়েছেন। আমিরাত সরকার এ ব্যাপারে কঠোর হবে, এমনটা অপ্রত্যাশিত ছিল না।'
| ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সনদ দেখিয়ে দক্ষ কর্মী ক্যাটাগরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পাওয়ার পথ বন্ধ হলো। মূলত বাংলাদেশিদের ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট ব্যবহার বন্ধে কঠোর হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। |
international | কুয়ালালামপুরে নির্মাণ স্থাপনা থেকে ২৪ বাংলাদেশি আটক | মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি নির্মাণ স্থাপনা থেকে ২৪ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, আটককৃতদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৭ এবং ভারতের একজন রয়েছেন।
একইসঙ্গে নির্মাণ স্থাপনাটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরের বুকিত কিয়ারা এলাকার কিয়ারা রোডের একটি নির্মাণ স্থাপনায় এ অভিযান চালানো হয়।
শনিবার কুয়ালালামপুর সিটি হল কর্তৃপক্ষ (ডিবিকেএল) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানের সময় কাজ করার সঠিক অনুমোদনপত্র না থাকায় ৩২ জন নির্মাণ শ্রমিককে আটক করা হয়। এ ছাড়াও, এদের অনেকেই ভিন্ন কাজের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে নির্মাণ স্থাপনায় কাজ করছিলেন। এসময় জালাতান ইমিগ্রেশন মালয়েশিয়া এবং পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাদের আটক করে।
নির্মাণ স্থাপনাটির ভেতর এবং বাহিরে পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও নির্মাণ গঠন নিয়েও অভিযান চালানো হয়। এসময় অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণ স্থাপনাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
| মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি নির্মাণ স্থাপনা থেকে ২৪ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। |
international | ভেনিসের প্রবেশ ফি ৫ ইউরো, সমালোচিত মেয়র | ইতালির জলকন্যা ভেনিস পৃথিবীর এক ইউনিক শহর। পানির ওপর ভাসমান এই শহরে জীবনযাপন ব্যাপক ব্যয়বহুল। তবু ভ্রমণ পিয়াসীদের কাছে ভেনিসের আকর্ষণ অনেক ওপরে।
গত ২৫ এপ্রিল ভেনিসের স্থানীয় সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে, অর্থাৎ পর্যটকদের জন্য 'প্রবেশ ফি' নির্ধারণ করেছে। এখন থেকে ১৪ বছরের বেশি বয়সের সব পর্যটককে ভেনিসের প্রবেশ ফি ৫ ইউরো পরিশোধ করতে হবে।
ইউরোপের অনেক মানুষ ভেনিসকে 'শহর' হিসেবে মানতে রাজি নন। তারা ভেনিসকে একটি উন্মুক্ত মিউজিয়াম ভাবতে পছন্দ করেন। তাদের কথা হলো- মিউজিয়ামে যেমন মানুষ যায় খসে পড়া পলেস্তারা-ঐতিহ্য দেখতে, তেমনই ভেনিসে আসে 'ভেনিস' দেখতে। ভেনিসের সবকিছুই দেখার মতো। আস্ত একটা বিস্ময় শহর ভেনিস।
একটি আদর্শ শহরে যা কিছু থাকে তার সবই আছে ভেনিসে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়াম, আদালত, জেলখানা, উপাসনালয়, হাসপাতাল, মিউজিয়াম, অফিস, নগর ভবন, সুপার মার্কেট, শপিং মল ও থানা-পুলিশ সব। হোটেল, মোটেল, বার ও রেস্টুরেন্টও আছে অনেক।
এতকিছু মাথায় নিয়ে ভেনিস দাঁড়িয়ে আছে ভূমধ্যসাগরের পেটের ওপর। এই শহরের অবকাঠামো সত্যিই অবিশ্বাস্য। পানির ওপর ভেসে আছে বড় বড় দালান-কোঠা। জোয়ার হলে তলিয়ে যায় শহর। রাস্তা-ঘাটে হাঁটু পানি জমে। শহরটাকে লতার মতো পেঁচিয়ে আছে ১৭৭টি খাল। প্রায় সাড়ে চারশ ছোট বড় সেতু আছে এই শহরের যোগাযোগ সহজ করতে। আর যানবাহন বলতে শুধু নৌযান। লঞ্চ, নৌকা ও স্টিমার।
আপনি যদি ভেনিসে বসে ট্যাক্সি কল করেন, মুহূর্তের মধ্যে পানি দাপিয়ে ছুটে আসবে স্পিডবোট। পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্সও ওই স্পিডবোটের মধ্যেই। এই শহরে 'প্রাইভেট কার' মানে ডিঙ্গি নৌকা বা ইঞ্জিন লাগানো ট্রলার। ভেনিসের প্রতিটি অলি-গলি দেখার মতো। হাজার বছরের ঐতিহ্য ছড়িয়ে আছে কদমে কদমে। যা কোনোভাবেই দেখে শেষ করা যায় না।
যারা ভেনিসকে মিউজিয়াম ভাবতে পছন্দ করেন, তাদের আরেকটা যুক্তি হলো- পৃথিবীর কোনো বিখ্যাত টুরিস্ট অঞ্চল ঘুমায় না। টুরিস্টদের জন্য ২৪ ঘণ্টা বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে। সেই অর্থে ভেনিসে এরকম কিছুই নেই। অন্য পাঁচটা শহরের মতো রয়েছে বার, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও মোটেল, ইত্যাদি। তা-ও মধ্যরাতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১২টার পর ভেনিসে খাবার খুঁজে পাওয়াও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। একমাত্র ক্যাসিনো ছাড়া ভেনিসে রাত জাগার কোনো বন্দোবস্ত নেই টুরিস্টদের জন্য।
ঘড়ির কাটা ধরে দরজা খোলা-বন্ধ করা, বিস্ময়কর এই পর্যটন নগর নিয়ে এখন চলছে চরম আলোচনা-সমালোচনা। বর্তমান মেয়র ও ডানপন্থী রাজনীতিক লুইজি ব্রুনারো ভেনিসে প্রবেশ ফি (ভেনিস পাস) চালু করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
মেয়র ব্রুনারো বলেন, 'ভেনিসে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ মানুষের আসা-যাওয়া হয়। বিশেষ করে উইকেন্ডে এবং উৎসবের সময়ে এত বেশি ভিড় হয়, প্রশাসনকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। যা ভেনিসের জন্য, পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাছাড়া শহরের মেনটেইন খরচ অনেক বেড়ে যায়।'
২৫ এপ্রিল উদ্বোধনের (ভেনিস পাস) দিনই ভেনিসের অনেক নাগরিক মেয়রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। তারা কোনোভাবেই 'ভেনিস পাস' মানতে রাজি নন। মেয়রের সিদ্ধান্তকে তারা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন।
তাদের মতে এতে পর্যটকদের অধিকার লঙ্ঘন করা হবে। কারণ পৃথিবীর কোনো শহরে 'প্রবেশ ফি' দিতে হয় না। ভেনিসই প্রথম।
ভেনিসের সাবেক মেয়র ও দার্শনিক মাচ্ছিমো কাচ্চারি বর্তমান মেয়র লুইজি ব্রুনারোর কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, 'সে ভেনিসকে ধ্বংস করতে চায়। ভেনিসের প্রতি পর্যটকদের ঘৃণা সৃষ্টি করতে চায়। যা ঐতিহাসিক ভেনিসের ঐতিহ্য নষ্ট করবে, পতন ডেকে আনবে।'
ভেনিসের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী রিটন ঢালি বলেন, 'ঐতিহ্যগতভাবে ইতালির মানুষ অতিথিপরায়ণ। ভেনিসের স্থানীয় মানুষরা পর্যটকদের অতিথির নজরে দেখে। তাদের সম্মান করে। ভেনিসের প্রবেশ ফি তাদের এই ঐতিহ্য নষ্ট করবে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।'
তিনি বলেন, 'ভেনিসের, তথা ইতালির আর্থিক অবস্থা এতটা খারাপ হয়নি যে, একটি পর্যটন শহরে প্রবেশ ফি নির্ধারণ করতে হবে।'
'ভেনিসে যারা থাকেন, সবাই সিটি ট্যাক্স দিয়ে থাকেন। এতেই স্থানীয় সরকারের প্রতিদিন লাখ লাখ ইউরো ইনকাম হয়। তবু কেন প্রবেশ ফি নির্ধারণ করতে হবে', যোগ করেন রিটন।
আগামী বছর ভেনিসের সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শোনা যাচ্ছে, বর্তমান মেয়র আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তিনি অবসরে যাবেন। এর আগে কেন তিনি এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলেন, যা স্থানীয় মানুষকে ব্যাপক ক্ষুব্ধ করেছে। ভেনিসের রাজনৈতিক পাড়ায় এটা নিয়ে ব্যাপক কথা হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে 'ভেনিস পাস' একটা ইস্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
| ইতালির জলকন্যা ভেনিস পৃথিবীর এক ইউনিক শহর। পানির ওপর ভাসমান এই শহরে জীবনযাপন ব্যাপক ব্যয়বহুল। তবু ভ্রমণ পিয়াসীদের কাছে ভেনিসের আকর্ষণ অনেক ওপরে। |
economy | মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের প্রদর্শনীতে নজর কাড়ল বাংলাদেশি পাটপণ্য | মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ১৯তম আসরে বাংলাদেশি পণ্য বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশি পাটপণ্যের প্রতি বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দেখা গেছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী আনোয়ার ইব্রাহীম এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশের প্রদর্শিত পণ্যকে সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেন তারা।
বাংলাদেশের পাট ও পাটের তৈরি পণ্যের প্রতি বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের আমদানিকারকদের আগ্রহ দেখা গেছে। এ নিয়ে তারা প্যাভিলিয়নে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, 'শুরুর দিন থেকেই মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনে দর্শনার্থীর ভিড় বেশি ছিল। বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহ দেখে আমাদেরও উৎসাহও অনেক বেড়ে গেছে।'
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় হালাল বাণিজ্যের পরিমাণও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হালাল বাণিজ্যে মালয়েশিয়ার অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য এবং সে কারণে এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে হালাল সেক্টরের উন্নয়ন তথা মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনে ৪ দিনব্যাপী শুরু হওয়া এ আসর চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। খাদ্য ও পানীয়, মডেস্ট ফ্যাশন, ই-কর্মাস, ইসলামিক ফিন্যান্স ও ফিনটেকসহ মোট ১৩টি ক্লাস্টারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বেশ জমে উঠেছে এ আসর। বিশ্বের ১ হাজার ৪০টি প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৮০০টি বুথের মাধ্যমে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
এই মেলা শুধু আসিয়ান অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এখানে আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন ট্রেড কমিশন, সরকারি সংস্থা, শিল্প ও ব্যবসায়িক নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহযোগিতায় এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ৯টি বুথে মোট ১৬ টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
খাদ্য, পোশাক শিল্প, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইটি ও হস্তশিল্প এসব ক্যাটগরিতে বাংলাদেশ থেকে বোম্বে সুইটস অ্যান্ড কোং লিমিটেড, এগ্রোভার্স লিমিটেড, তাহমিনাস, পিপলস লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ, কেএমআর ক্রাফট, কারুপণ্য, বন্ধন নূরস, অ্যালবাট্রস ফ্যাশন, পশরা লেদার এন্ড জুট, জুটএক্স, বিদোরা ব্যাগ এবং হস্তশিল্প, টেকসলিউশন, প্রিঙ্ক, ত্রিনাস ক্লোসেট, ডাইনাস গ্ল্যামার এবং কল্পতরু তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। মালয়েশিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে আয়োজিত মেলার মধ্যে এটিতেই বড় পরিসরে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।
মেলার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। সে সময় সঙ্গে ছিলেন, মালয়েশিয়া এক্সটারনেল ট্রেড ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশনের পরিচালক এস জয়শংকরসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এ সময় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের জানান, হালাল পণ্যের বাণিজ্য একটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর। বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও হালাল পণ্য বাণিজ্যে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে হালাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, 'সারাবিশ্বে বর্তমানে হালাল বাণিজ্যের পরিমাণ ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার, ২০৩০ সালে বাণিজ্য বেড়ে দাঁড়াবে ৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ যদি এর ১০ শতাংশ বাজার ধরতে পারে তাহলে ৩৬০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ১ শতাংশ ধরলেও ৩৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।'
লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
| মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ১৯তম আসরে বাংলাদেশি পণ্য বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশি পাটপণ্যের প্রতি বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দেখা গেছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। |
entertainment | সিডনিতে ৯ ডিসেম্বর ‘হাসন রাজা উৎসব’ | হাসন রাজার স্মরণে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে 'হাসন রাজা উৎসব।'
আগামী ৯ ডিসেম্বর সিডনির ব্যাংকস টাউনের ব্রায়ান ব্রাউন থিয়েটারে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন দেশের জনপ্রিয় ফোক সংগীত শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও দীপ্তি রাজবংশী। শিল্পী দীপ্তি রাজবংশী বাংলাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর সহধর্মিণী।
এ উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী, সাধক হাসান রাজার উত্তরসূরি ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী শিল্পপতি সোলায়মান আশরাফী দেওয়ান জানান, মনীষী হাসন রাজার আধ্যাত্মিকতা ও মানবিক চেতনাবোধ সর্বব্যাপী। আমাদের এ উৎসবের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা বাঙালিকে তার শেকড়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া এবং এখানে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে তাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।'
উৎসবে সিডনির স্থানীয় শিল্পীরাও অংশ নেবেন বিভিন্ন পর্বে।
হাসন রাজা উৎসবের আয়োজন করেছে 'হাসন রাজা পরিষদ অস্ট্রেলিয়া' ও সহযোগিতায় রয়েছে 'পথ প্রোডাকশন'। টিকিটের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে 'দেশি ইভেন্টস'। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে প্রভাত ফেরী, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ও স্ট্যামফোর্ড এডুকেশন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| হাসন রাজার স্মরণে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে 'হাসন রাজা উৎসব।' |
entertainment | আমিরাতে ফিরছে বাংলা সিনেমা, হবে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল | আমিরাতের হলে বাংলা সিনেমা রিলিজ, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও শুটিংয়ের ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনস।
শুরুতে দেশের সঙ্গে মিল রেখে একইদিনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আমিরাতের মাটিতেও প্রবাসীদের জন্য রিলিজ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের।
গত মঙ্গলবার রাতে দুবাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিখ্যাত জুয়েলারি ডিজাইনার ও বাংলা আর্ট উইক-এর কর্ণধার নীহারিকা মমতাজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে প্রথম বাংলা ছবি পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া মেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও আমিরাতভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ ইখতিয়ার পাভেল ও রেশ রাজ ফিল্মের প্রতিষ্ঠাতা কৃশনান রাজারান।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনের উদ্যোগে ও মিডিয়া মেজ-এর সহযোগিতায় আমিরাতের সিনেপ্লেক্সে আবারো ফিরে আসছে বাংলা সিনেমা। মিতালী পারকিন্সের প্রখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে অমিতাভ রেজা পরিচালিত 'রিক্সা গার্ল' প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুনভাবে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর। ইবনে বতুতা মলে নভো সিনেমা ও দেরা সিটি সেন্টারের ভক্স সিনেমায় দেখা যাবে সিনেমাটি। টিকিট পাওয়া যাবে ভেন্যুতে।
নীহারিকা মমতাজ জানান, বাংলা আর্ট ও কালচারকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া তার স্বপ্ন এবং কেবল বাংলা ছবি পরিবেশনার মাঝেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে না। তিনি ভবিষ্যতে দুবাইয়ে বার্ষিক বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ফিল্মফেয়ারের মতো আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কার অনুষ্ঠান ও ছবির শুটিংয়ের আয়োজন করতে আগ্রহী।
এর আগে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দুবাইভিত্তিক মিডিয়া মেজ ও কানাডাভিত্তিক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর মাধ্যমে আমিরাতের সিনেপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছিল পরবাসিনী, নবাব, ঢাকা অ্যাটাক, দেবীর মতো হিট বাংলা ছবি। এরপর আর আসেনি বাংলা সিনেমা।
মিডিয়া মেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ ইখতিয়ার পাভেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমিরাতে তথা মধ্যপ্রাচ্যে বাংলা ছবির প্রদর্শন নিঃসন্দেহে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এক নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। যদিও বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান যা আমেরিকা, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় ছবি পরিবেশনের ক্ষেত্রে নেই। এসব বাধা দূর করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ও এজন্য বাংলাদেশের পরিচালক-প্রযোজকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
| আমিরাতের হলে বাংলা সিনেমা রিলিজ, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও শুটিংয়ের ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনস। |
education | জীবনের জন্য পড়াশোনা, পড়াশোনার জন্য জীবন নয় | সময়টা এখন শরতের মৃদুমন্দ বাতাসের। হাঁটতে বেরুলে রঙিন সব পাতা পড়ে থাকে পায়ের নিচে। আবহাওয়াটা বেশ শান্ত হলেও পড়াশোনার গতি বিপরীত। কেন না এখন সিমেস্টারের সব চাইতে 'পিক আওয়ার'। কোর্স ওয়ার্ক ছাড়াও বেশ চিন্তিত ছিলাম নিজের থিসিস নিয়ে। এখানে গবেষণা মানেই শ খানা গবেষণা আর্টিকেল, নিখুঁতভাবে সব কিছু উপস্থাপন আর অধ্যাপকদের সঙ্গে কয়েকখানা মিটিং।
তারও আগে প্রফেসরদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিজের থিসিস কমিটি নিজেকেই ঠিক করে বিভাগে জমা দিতে হয়। সব মিলিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। এমনকি মনে হচ্ছিল থিসিস আসলেই করব কি না।
তবে এখানে যে বিষয়টি একদমই আলাদা তা হলো অধ্যাপকদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা। আমি যতবারই আমার প্রফেসরদের সঙ্গে মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনায় গিয়েছি ততবারই মনে হয়েছে, এমন মানুষের সঙ্গে কাজ করাটা আমার জন্যই ইতিবাচক হবে। আমি যতবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, আমার অধ্যাপকেরা ততবারই অভয় দিয়েছেন। শুনেছি, 'জীবনের জন্য পড়াশোনা, পড়াশোনার আগে তোমার ব্যক্তিগত জীবন নয়', 'না হয় সময় বেশিই লাগবে তোমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে, তাতে তুমি নিশ্চয়ই খারাপ শিক্ষার্থী হয়ে যাবে না'। আমি তো ভিন্ন মহাদেশের মানুষ। আমার দেখার এবং পরিমাপের দৃষ্টিভঙ্গি তো গড়ে উঠেছে ভিন্ন আদলে!
সেখানে ছোটবেলা থেকেই ভালো রেজাল্ট বা ফল দিয়ে যেভাবে পুরো শিক্ষার পরিবেশটাকে একটা গণ্ডিতে রেখে দেওয়া হয় সেটা তো আমার মধ্যে এখনো কমবেশি কাজ করে। আমরা তো শিখেছি পড়া মনে রাখা কিংবা মুখস্থ করা, কিন্তু কোনো কিছুকে বারবার প্রশ্ন করে নতুন আদলে গড়ে তুলতে শিখিনি। বড়বেলাতেও নয়।
এখানে মুখস্থ ব্যপারটাই নেই! কোনো কোনো বিভাগে পরীক্ষাও নেই। অনেকেই শুনে মনে করতে পারেন, বেশ বাঁচা গেল! বিষয়টা তেমনও নয়। পরীক্ষা না থাকলেও আপনাকে দিনের পড়া দিনেই শেষ করতে হবে। প্রতিটা ক্লাসে এই সিলেবাসের ওপর আলোচনা করতে হবে। আপনি যত ইচ্ছা অধ্যাপককে প্রশ্ন করতে পারবেন। যত প্রশ্ন করবেন তার ওপর আপনার গ্রেডিং বা নম্বর নির্ধারিত হয়। তাই বলে কাউকে ছোট করবার উদ্দেশ্যে কিংবা 'আজব' কোনো প্রশ্ন অবশ্যই নয়। যে প্রশ্নই আপনি করবেন তার আগে কনটেক্সট আপনাকে আলোচনা করে নিতে হবে।
আমি নিজে যে কয়েকটি ফাইনাল পরীক্ষায় বসেছি, সবগুলোই ছিল ওপেনবুক। আপনি বই, প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়াল পাশে নিয়েই বসতে পারবেন। আপনি চাইলেই ইন্টারনেট থেকে সব তথ্য খুঁজে নেবেন, তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু আপনি আসলেই চিন্তা করছেন কি না, একজন গবেষক হিসেবে নতুন কোনো উদ্ভাবন বা বিষয় নিয়ে ভাবছেন কি না, তার উপস্থাপন করতে হবে পরীক্ষার খাতায়। এখানে প্রশ্নও করা হয় সেই আদলেই।
আরেকটি বিষয় যা আসলেই ভালো লাগে তা হলো এখানে গ্রেডিং বা নম্বর নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। কে কত গ্রেড পেল এটা কেউ জিজ্ঞেস করে না, জিজ্ঞেস করাটাই এখানে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। এখানে শুধু দেখা হয় আপনি বছর শেষে কয়টি কনফারেন্স, সিম্পোজিয়ামে অংশ নিলেন, কয়টি গবেষণা করলেন। আমার নিজেরই অভিজ্ঞতা আছে, পরিসংখ্যানের এক পরীক্ষায় গিয়ে উত্তর না করে চলে আসবার। কারণটা ছিল, এখানকার প্রযুক্তিগত এত সংযোজন বুঝতে না পারা। কেন না, এখানে নিত্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রায়শই সেগুলোর পরিবর্তন করা হয়। আমি এক সপ্তাহ পর প্রফেসরকে গিয়ে বলায় উনি জিজ্ঞেস করলেন, আমি আসলেই সত্যি বলছি কি না! এরপর সেই একই প্রশ্নে আমাকে আবারও পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিলেন। অবশ্যই তার উত্তর আমাকে প্রফেসরের সামনে বসেই করতে হয়েছে। কিন্তু একজন অধ্যাপক হিসেবে আমার মতো এক ভিন দেশের শিক্ষার্থীকে যে উনি অভয় দিয়ে আবারও সুযোগ দিলেন, এ ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে আমি আগে কখনো পরিচিত ছিলাম না! কারণ এখানে সব কিছুর ঊর্ধ্বে গুরুত্ব দেওয়া হয়, শেখা এবং চিন্তার ওপর। আপনি প্রকৃত অর্থেই কতটুকু শিখতে পারছেন এবং তা ভবিষ্যতে প্রয়োগ করতে পারছেন দেশের জন্য, এটাই এখানে মুখ্য।
এখানে শিশুদের দেখিনি স্কুল থেকে ফিরে ভারি ব্যাগ নিয়ে কোচিং সেন্টারে দৌড়াতে। সব বাচ্চাই নির্ভারভাবে বিভিন্ন খেলাধুলা আর লাইফ স্কিলস শিখছে এই বয়স থেকেই। সাঁতার, সাইক্লিং, জুডো, স্কেটিং, ব্যালে কত কিছু করতে দেখি! শিশুদের মা-বাবাদেরও এত চিন্তিত থাকতে দেখিনি কোচিং, পরীক্ষার ফল, প্রতিযোগিতা নিয়ে। শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের সব রকম পরিবেশই এখানে আছে।
তাই প্রতিটি বেলায়ই ভাবি, শেখার আসলে কোন শেষ নেই!
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| সময়টা এখন শরতের মৃদুমন্দ বাতাসের। হাঁটতে বেরুলে রঙিন সব পাতা পড়ে থাকে পায়ের নিচে। আবহাওয়াটা বেশ শান্ত হলেও পড়াশোনার গতি বিপরীত। কেন না এখন সিমেস্টারের সব চাইতে 'পিক আওয়ার'। কোর্স ওয়ার্ক ছাড়াও বেশ চিন্তিত ছিলাম নিজের থিসিস নিয়ে। এখানে গবেষণা মানেই শ খানা গবেষণা আর্টিকেল, নিখুঁতভাবে সব কিছু উপস্থাপন আর অধ্যাপকদের সঙ্গে কয়েকখানা মিটিং। |
state | কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে পৃথক ২ সমাবেশ | কবি তারাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
লালন পরিষদ ইউএসএর আয়োজনে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজা ও রাত সাড়ে ৮টায় জ্যামাইকায় স্টার কাবাবের সামনে পৃথক দুটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য প্রবাসী অংশ নেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভেতরবন্দ ইউনিয়নের গোদ্দারেরপাড় এলাকার নিজ বাড়িতে কবি রাধাপদ রায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
নিউইয়র্কের সমাবেশে বক্তারা বলেন, কবি রাধাপদ রায় মানবতার কথা বলেন, আধ্যাত্মিকতা চর্চা করেন। তাঁর ওপর হামলা কেন? বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিকে বুকে ধারণ করেন, এটি তার অপরাধ?
তারা বলেন, 'এই হামলা কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হয়নি, হয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর। এটিই যেন শেষ হামলার ঘটনা হয়ে থাকে।'
লালন পরিষদের সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সংস্কৃতিজন গোপাল স্যানালের সঞ্চালনায় ডাইভারসিটির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্যাহ, কবি বেলাল বেগ, মুক্তিযোদ্ধা-শিল্পী তাজুল ইমাম, সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী, রাজনীতিবিদ নুরুল আমিন বাবু, অভিনেতা-নির্দেশক খায়রুল আলম পাখি, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মনিকা রায়, সাংবাদিক সাহাব উদ্দিন সাগর, সাংস্কৃতিক সংগঠক আসলাম খান প্রমুখ।
হামলায় ক্ষতবিক্ষত রাধাপদ রায়ের পিঠের ছবি এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন সমাবেশ অংশগ্রহণকারীরা।
জ্যামাইকার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্র নাথ রায়, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোরশেদ আলম প্রমুখ।
উভয় সমাবেশে বক্তারা রাধাপদ রায়ের ওপর হামলাকারী সব আসামিকেও গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম তার বক্তৃতায় আহত রাধাপদ রায়ের চিকিৎসার জন্য সহায়তা তহবিলে সবার অংশগ্রহণ কামনা করেন।
| কবি তারাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। |
international | মালয়েশিয়ায় শবে কদরের রাতে সূরাও বায়তুল মোকাররামে প্রবাসীদের নামাজ আদায় | পবিত্র শবে কদরের রাতে সূরাও বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ প্রবাসীরা।
শনিবার রাতে সূরাও বায়তুল মোকাররামে এশার নামাজ শেষে তারাবি নামাজের আগে ধর্মীয় বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইবাদত। অন্যান্য দিনের তুলনায় সূরাওয়ে প্রবাসীদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য।
অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন নামাজ আদায় করতে। নামাজে আগত প্রবাসীরা বলেন, আজকে একটি পবিত্র রাত। নামাজ আদায় করতে এসে ভালো লাগছে।
সূরাও বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফিজ মাওলানা ইকরামুল হক বলেন, 'এ রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি বান্দার অতীতের সব পাপ ক্ষমা করে দিবেন।'
নামাজ শেষে মুসল্লিরা দোয়ায় অংশ নেন। নিজ পরিবার, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চেয়ে চোখের পানি ফেলে মনের আকুতি নিবেদন করেন মহান রবের কাছে।
আল কুরআনে আল্লাহ লাইলাতুল কদরকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। এ জন্য পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত করে থাকেন।
পবিত্র রমজানে লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। তাই আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।
মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র এই শবে কদরের রজনী কাটাবেন।
| পবিত্র শবে কদরের রাতে সূরাও বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ প্রবাসীরা। |
international | দুবাইয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা | শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আমিরাতের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনস্যুল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন। এ সময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বাংলাদেশ বিমান, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল-দুবাই, বাংলাদেশ সমিতি দুবাই, বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ দুবাই, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শারজাহ, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই, ডিপ্লোমেটিক লেডিস গ্রুপসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ৬০টি সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
| শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। |
education | শিক্ষকতায় আনন্দ-বৈচিত্র্য | খুব ছোটবেলা থেকেই চাইতাম, শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ, গবেষণা নিয়ে আলোচনায় থাকবার। শিক্ষকদের বুকশেলফে রাখা সারি সারি বই আমাকে টানতো।
নিজে শিক্ষক পরিবারের না হলেও আমার বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। তাই বেড়ে উঠবার জন্য বই, লেখালেখি, চিন্তাভাবনার একটা পরিবেশ সব সময়েই ছিল ঘরে। অনেক বান্ধবীদের মাতা-পিতাকে দেখেছি, বেশ বড় চাকরি করেন, উচ্চশিক্ষিতও বটে। কিন্তু মেয়ে সন্তানকে 'মেয়ে সন্তান' হিসেবেই দেখতেন, একজন সন্তান হিসেবে দেখতেন না। আমি গর্বিত আমার মাতা-পিতা এতটা উচ্চশিক্ষিত না হলেও তারা স্বশিক্ষিত এবং উদার মনের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র বছরগুলোয় যখন গবেষণার কেবলমাত্র হাতেখড়ি, তখন থেকেই ঘণ্টার পড় ঘণ্টা গবেষণা প্রবন্ধ, জার্নাল আর্টিকেল পড়ার মধ্যে আমার আনন্দ কাজ করতো। আমি নিজেকে খুঁজে পেতাম এসব পাতায় মুখ ডুবিয়ে। তখন থেকেই প্রার্থনা করতাম, এই পরিবেশেই যাতে বিশ্ববিদ্যালয় শেষেও আমি থাকতে পারি।
আশপাশের অনেকেই ঠাট্টা করতো, যে কাজ মানুষের বিরক্ত লাগে সে কাজে আমার মধ্যে কেন এত ভালো লাগা তৈরি করবে? বা এখনো শুনি, দেশের শিক্ষকতা এমন কী! একটা সময় খারাপ লাগলেও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য এসে সেই খারাপ লাগা বোধটাও চলে গেছে। এখানে কেউ কারও পরিচিতি নিয়ে দ্বিধাবোধ করে না। যে পড়তে ভালবাসে সে নির্বিকারে স্বীকার করে, সে দিনের কত ঘণ্টা এর পিছে ব্যয় করল। আবার যে খেলাধুলা করতে পছন্দ করে, সেও সরল স্বীকারোক্তি করে কতটা সময় ব্যয় করল তার পছন্দের কাজে। আজকাল প্রায়ই দেখি, পড়াশোনা করা বিষয়টাকে উপহাস বা ব্যঙ্গার্থকভাবে দেখা হয়। এর পেছেনে যে সমাজের রাজনৈতিক-অর্থনীতি কাজ করে তা বুঝতে বাকি কোথায়!
আসলে সবার যা বিরক্ত লাগে আমারও সেই একই বিষয় কেন বিরক্ত লাগতে হবে? বৈচিত্র্য নিয়েই তো জগত বেঁচে থাকে। একজন ভালো গবেষক বা যে কোনো কাজেই সর্বোচ্চ পেতে হলে ঠিক একই পরিমাণ দিতেও হয়। সেটা ক্যারিয়ারের যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই সত্য। এখানে আমাদের বিভাগের প্রধান ড. লিমপেরোস বলেন, 'সাফল্যের তো কোনো সহজ উপায় নেই!'
দেশে শুধু শিক্ষকতা না, পুরো কাঠামোই একই গতিতে চলছে, সেখানে আমাদের যার যার নিজের যে শ্রমসাধ্য গবেষণা তা ফেলনা নয়। ফেলনা হলে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বহির্বিশ্বের অধ্যাপকদের সামনে আমিই উপস্থাপন করতে পারতাম না। আমার গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন আছে বিধায়ই আমি এখানকার অধ্যাপকদের কাছেও প্রশংসা পাই; যে আগামী উচ্চশিক্ষার জন্য তুমি যথেষ্ট উপযুক্ত, বা অন্যদের থেকেও বেশ ভালো। এমন একটা পরিবেশে অন্তর্ভুক্ত না হলে হয়তো এতদিনের এত পাবলিকেশন, এত আগ্রহ আমার গড়ে উঠত না।
অনেকেই বলে শিক্ষকতা একঘেয়ে, এখানকার অধ্যাপকদের লাইফস্টাইল কিংবা দেশের কয়েকজন শিক্ষকে দেখেও আমার তা মনে হয়নি। বরং সকাল ৮টা-৫টা অফিস, অন্যের প্রোফিটের জন্য কাজ করাটা আমার একঘেয়ে লেগেছে। সেখানে আমার গবেষণা আমারই সৃষ্টি। কারও কোনো দাবি নেই! আমারও মনে হয়েছে, যে কাজে সৃষ্টিশীলতা নেই, তাই তো বরঞ্চ একঘেয়ে। উল্টো মনে হয়েছে, যারা এমনটি বলেন তাদের স্যাম্পল, দৃষ্টিসীমা খুব সীমিত।
দিন শেষে, যার যে বিষয় ভালো লাগে তাই জীবিকা হিসেবে পেয়ে, নিজেকে গড়ে তোলাই নতুনত্ব!
| খুব ছোটবেলা থেকেই চাইতাম, শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ, গবেষণা নিয়ে আলোচনায় থাকবার। শিক্ষকদের বুকশেলফে রাখা সারি সারি বই আমাকে টানতো। |
international | মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের ‘মেহমানখানা’ | ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে ইহুদী সেনাদের দ্বারা গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনিরা মারাত্মক আহত বা বিভিন্ন কারণে জন্মভূমি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
বিভিন্ন দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি এই অসহায় ফিলিস্তিনিদের আহারে সহযোগিতার জন্য রাজধানী কায়রোসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে খোলা হয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক 'মেহমানখানা'।
মিশরের এনজিও সংস্থা ইজিপশিয়ান ইয়ুথ কাউন্সিলের সহযোগিতায় আমেরিকা-ভিত্তিক বাংলাদেশের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন (এএসএইচএফ) আয়োজন করেছে এই মেহমানখানার।
গত শুক্রবার গিজা শহরের 'জাজিরাতুল অররা' এলাকার একটি মেহমানখানায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক শত নারী ও শিশু ফিলিস্তিনি শরণার্থীর জন্য নীল নদের মাছ দিয়ে রান্না হচ্ছে মিশরীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার 'সামাক সাইয়ীদিয়াত'। এর সঙ্গে আছে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, ফলমূল ও কোমল পানীয়।
বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি কিছু শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে নিয়ে নিজ হাতে এসব খাবার তৈরি করছেন এএসএইচএফ'র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
এসময় উপস্থিত গাজার অসহায় শরণার্থীরা আয়োজক সংস্থা এএসএইচএফকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের মর্মান্তিক দুর্দশার কথাও তুলে ধরেন। বিশেষ করে নিজেদের ঘনিষ্ঠ স্বজন হারানোর পর যে দুয়েকজন স্বজন এখনো জীবিত আছেন বলে তারা জেনেছেন, তাদের মিশরে আনার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে আন্তরিক অনুরোধ করেন মিশর সরকারসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে।
মায়ের সঙ্গে মেহমানখানায় আসা মায়াবী চেহারার আট বছরের শিশু তা'লা ও পাঁচ বছরের সিলার পিতাকে তাদের কাছে এনে দেওয়ার আকুতি করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, 'গাজাবাসীর জন্য এএসএইচএফ ফাউন্ডেশনের রেডক্রসের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধাবস্থার প্রথম থেকেই কায়রো থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে সরাসরি গাজায় জরুরি খাবার সামগ্রীর পাশাপাশি কাফনের কাপড়, স্যানিটারি ন্যাপকিন পাঠানোর বিষয়গুলো ইতোমধ্যে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আমরা এবার রাজধানী কায়রোসহ বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য মেহমানখানার ব্যবস্থা করেছি।'
তিনি বলেন, 'চট্টগ্রামে করোনাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত চলমান মেহমানখানার একটি শাখা নিয়ে মিশরে এসেছি নির্যাতিত অসহায় গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে। মেহমানখানায় খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি অসহায় পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ ফুড প্যাকেজ বিতরণ কর্মসূচিও চলছে।'
নাছির উদ্দিন বলেন, 'গাজার অসহায় বাচ্চাদের জন্য এএসএইচএফের উদ্যোগে একটি এতিমখানা তৈরির কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। গাঁজা থেকে মিশরে আসা শরণার্থী শিশুদের থেকে ১০০ এতিম শিশুকে বাংলাদেশে নিয়ে শামসুল হক ফাউন্ডেশনের এতিমখানায় পালন করতে চাই।'
প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, 'এ বিষয়ে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করলে মিশরে অবস্থানরত গাজার এতিম শিশুদের বাংলাদেশে নিয়ে লালন-পালন করা সম্ভব। এ বিষয়ে এএসএইচএফ মাঠপর্যায়ের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে।'
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলের হামলায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় হাজার হাজার নারী ও শিশু শরণার্থী হয়ে মিশরে প্রবেশ করেন।
| ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে ইহুদী সেনাদের দ্বারা গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনিরা মারাত্মক আহত বা বিভিন্ন কারণে জন্মভূমি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। |
education | বিদেশে ডর্ম বা বাসা ভাড়া: যা জানা প্রয়োজন | যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার আগে যে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে একটি হলো, এখানে থাকার জায়গা নির্ধারণ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই যদি বলি, যে জায়গায় আগে কখনো যাইনি, দেখিনি, সেখানে দীর্ঘ একটা সময় থাকার জন্য বাসা ঠিক করাটা অনিশ্চিতই ছিল।
আর যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপার্টমেন্ট বা বাসা, যেটাই ঠিক করা হোক না কেন, লিজ বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে বাসায় কোনো ঝামেলা হলে এই লিজ চুক্তি এক বছর কিংবা ছয় মাসের আগে শেষ করা যায় না। অর্থাৎ, আপনাকে এই পুরোটা সময় এখানেই থাকতে হবে কিংবা না থাকলেও এর ভাড়াটা ঠিকই পরিশোধ করতে হবে।
তাই আন্তর্জাতিক যেসব শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে পড়তে যান, এ বিষয়গুলো খুব ভালো করে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিজের চরিত্রগুলোর মতো নতুন আসবাব, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিজেকেই বহন করে নিতে হয়, পরিচিত কেউ থাকলে না-হয় ভিন্ন কথা।
এত কিছুর পরও যখন থাকার জায়গাটা শান্তির হয় না, তখন বিষয়টি পড়ালেখাসহ মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। তাই প্রথম থেকেই লিজ নেওয়া বাসাটির অবস্থান, পরিবেশ ভালো করে যাচাই করে নেওয়া চাই। সন্ধ্যার পর কতটা নিরাপদ, আশপাশে প্রয়োজনীয় দোকানপাট, ফার্মেসি আছে কি না, ক্যাম্পাস থেকে কতটুকু দূরত্বে, বাস-মেট্রো থাকলেও কতটা কাছে, এগুলো পরিকল্পনায় রাখা চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্টেটে বছরের প্রায় পুরো সময়েই বৃষ্টি লেগে থাকে, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য যানবাহন ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসের বাসের রুটগুলো দেখে নিলে প্রথম দিকে সুবিধা হয়। এমনও হয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য ক্লাসে যাওয়া হয়নি। কিংবা আবহাওয়া ফোরকাস্টে বৃষ্টি দেখাচ্ছিল বলে ঠিক সময়ে বাস ধরে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে হয়েছে।
এরপর অবশ্যই যে বিষয়টি আসে তা হলো, অ্যাপার্টমেন্ট মেট। প্রবাসে নিজের স্বাতন্ত্র্য এবং স্বাধীনতাকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারপরও একই ডর্মে যার সঙ্গে থাকবেন, তার কালচার বা সংস্কৃতি, ফুড হ্যাবিট, এই ছোটখাটো বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ। আমার অনেক সহপাঠীকে দেখেছি, অপরের রান্নার কারণে বিব্রতবোধ করতে। কেননা বিষয়টি খুব সামান্য হলেও একেক দেশে প্রচলিত খাবার ও মশলায় ভিন্নতা রয়েছে।
আমার আমেরিকান ডর্মমেট কখনোই আমাদের দেশীয় মশলার ঘ্রাণ সয়ে নিতে পারেনি। আর এখানকার কিচেন বা রান্নাঘর ব্যবস্থাও আলাদা। আবার অনেক সময় এমনটাও হয়, ডর্মমেট হয়ত ভিন্ন দেশের, ভিন্ন সংস্কৃতির এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ডর্মের মানুষদের সঙ্গেই একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়।
এদিক থেকে বলা যায়, আমার জাপানিজ ডর্মমেটের প্রসঙ্গে। শুকনো ঘাসফড়িঙ বা পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট কিনে ফ্রিজে রাখলেও আমাদের এ নিয়ে কখনো সমস্যা হয়নি। প্রয়োজনের সময়, যেমন: অসুখ কিংবা কোনো সহযোগিতায় কাছের মানুষ এই ডর্ম বা অ্যাপার্টমেন্ট মেটরাই। তাই বাসা নেওয়ার সময় অ্যাপার্টমেন্ট মেটের সঙ্গে পারলে পরিচিত হয়ে কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন।
আরেকটি বিষয় হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাসা ভাড়া নেওয়ার লিজের সময় থাকে এক বছরের। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই লিজের সময় ছয় মাসের হয়ে থাকে। যেহেতু এখানে লিজ পলিসি খুবই কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়, তাই নতুন এক জায়গায় স্বল্প সময়ের লিজ নেওয়াটাই সুবিধাজনক। বাসায় অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো, যেমন: ইন্টারনেট সংযোগ, ফায়ার অ্যালার্ম সার্ভিস থেকে শুরু করে ইমার্জেন্সি ফিক্সিট, পার্কিং ব্যবস্থা, ইউটিলিটি বিল এগুলো নিয়েও আগেই কথা বলে নেওয়া ভালো।
নাদিয়া রহমান: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির শিক্ষার্থী।
| যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার আগে যে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে একটি হলো, এখানে থাকার জায়গা নির্ধারণ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই যদি বলি, যে জায়গায় আগে কখনো যাইনি, দেখিনি, সেখানে দীর্ঘ একটা সময় থাকার জন্য বাসা ঠিক করাটা অনিশ্চিতই ছিল। |
international | ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ৬ প্রধানমন্ত্রীর | অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, টনি অ্যাবট, ম্যালকম টার্নবুল, স্কট মরিসন, কেভিন রুড এবং জুলিয়া গিলার্ড এক খোলা চিঠিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে তারা বলেন, ইসরায়েলকে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে অনুরোধ করছি এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি। চিঠিতে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছাতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অস্ট্রেলিয়ানদের স্থায়ী সমর্থন পুনরায় নিশ্চিত করছি।
ছয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি ও ফিলিস্তিনি উভয় সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে এখানে বিভাজন সৃষ্টি করতে দেওয়ার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি এবং ফিলিস্তিনি উভয় সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তারা বলেন, আমরা এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ান ইহুদিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং আমরা অস্ট্রেলিয়ান ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের পাশে আছি, যাদের পরিবার এই ভয়ানক সংঘাতে মারা যাচ্ছে এবং কষ্ট পাচ্ছে। তারাও আমাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।
আমাদের বহু-সাংস্কৃতিক জাতির সাফল্য অস্ট্রেলিয়ান মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা আমরা সবাই শেয়ার করি এবং আমাদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের বৈচিত্র্যের জন্য আমরা সবাইকে সম্মান দেখাই বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা বলেছেন যে, আমাদের উচিত বিদেশি বিরোধগুলো অস্ট্রেলিয়ানদের একে অপরের বিরুদ্ধে পরিণত করতে না দেওয়া।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রতিটি বেসামরিক জীবন মূল্যবান, তা সে ইসরায়েলি বা ফিলিস্তিনি যেই হোক না কেন। প্রতিটি নিরপরাধ প্রাণহানি একটি ট্র্যাজেডি।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, টনি অ্যাবট, ম্যালকম টার্নবুল, স্কট মরিসন, কেভিন রুড এবং জুলিয়া গিলার্ড এক খোলা চিঠিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন। |
international | আবুধাবিতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু | সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মুহাম্মদ মোক্তার হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আরব সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তালুকদার।
নিহত মোক্তার হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানায়। সে পরিবার-পরিজন নিয়ে আবুধাবিতে বসবাস করতেন। মোক্তারের সঙ্গে থাকা অপর দুই বন্ধু মারাত্মক আহত হয়ে আবুধাবির শেখ খলিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত এই দুই ব্যক্তির নাম জুবায়ের ও মোহাম্মদ নবী হোসেন। তাদের বাড়িও কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে।
জানা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সাগরে মাছ ধরতে গেলে আরব সাগরে স্পিডবোটের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে সাহায্যের জন্যে আরেকটি স্পিডবোট এসে দড়ি দিয়ে টেনে নেওয়ার সময় দড়ি ছিঁড়ে গেলে একটির সঙ্গে অন্যটি সজোরে ধাক্কা লেগে মোক্তার হোসেনের স্পিডবোট উল্টে যায়। এসময় অপর দুই বন্ধু সাঁতার কেটে তীরে আসতে সক্ষম হলেও মারা যান মোক্তার।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মোতাহেরসহ আহতরা স্থানীয় আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য।
| সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মুহাম্মদ মোক্তার হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। |
education | আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু | বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে অসমাপ্ত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা।
আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা জনতা ব্যাংকের দুবাই শাখায় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি ও এইচএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন।
গতকাল শুক্রবার দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখিত ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনে ভর্তির আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখিত ভর্তি ফি (এসএসসি প্রথম বর্ষ ৫১৫ দিরহাম এবং এইচএসসি প্রথম বর্ষ ৬৬০ দিরহাম) জনতা ব্যাংক দুবাই শাখায় জমা দেবেন। জমা দিয়ে রশিদের মূল কপি এবং সম্পন্নকৃত অনলাইন ভর্তি আবেদনের হার্ড কপি কনস্যুলেটের শিক্ষা উইংয়ে জমা দেবেন।
এই সুযোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রবাসীরা। দুবাই প্রবাসী ইমাম হোসেন বলেন, 'আমাদের দেশের যারা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশই আছেন যারা নানা প্রতিকূলতার কারণে এন্ট্রান্স লেভেল বা মিনিমাম এসএসসি পাস করতে পারেননি। তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক পরীক্ষায় ফেল করেছেন বা পরীক্ষাই দিতে পারেননি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশিরা অন্যান্য দেশের মানুষের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধায় অনেক এগিয়ে যেতে পারবে।'
আজমানের শামছুল আলম মানিক বলেন, 'অসমাপ্ত পড়ালেখা সমাপ্ত করার এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি থেকে বলছি- এই উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক।'
| বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে অসমাপ্ত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। |
international | ইসরায়েলের সমালোচনা করায় অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিক বরখাস্ত | সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের সমালোচনা করে পোস্ট দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি থেকে সাংবাদিক আন্তোয়েনেট লাট্টুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এবিসি থেকে বলা হয়েছে যে, লাট্টুফ তার ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এইচআরডব্লিউ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে সংস্থাটি দাবি করেছে, ইসরায়েল গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের খাদ্য, পানি এবং জ্বালানি সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।
এবিসি ম্যানেজমেন্ট লাট্টুফকে 'বিতর্কিত বিষয়' শেয়ার না করার জন্য বলার পরও তিনি এ কাজটি করেছেন বলে এবিসি অভিযোগ করেছে।
লাট্টুফ এবিসির সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে লিখেছেন, তিনি মনে করছেন তার বরখাস্ত বেআইনি।
তিনি লিখেছেন, 'এটি সাংবাদিকতা ও স্বাধীন চিন্তার জন্য অশনি সংকেত।'
সাংবাদিক আন্তোয়েনেট লাট্টুফ এবিসি ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শুনানির সময় লাট্টুফ অভিযোগ করেন যে তাকে কেবল তার রাজনৈতিক মতামতের জন্যই নয়, তার জাতি এবং তার লেবানিজ-অস্ট্রেলিয়ান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্যও বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রথম শুনানির পর তিনি বলেছেন, 'যতক্ষণ লাগে লড়াই করার জন্য আমি প্রস্তুত।'
এবিসি দাবি করেছে, লাট্টুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে কারণ তিনি বিতর্কের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট না করার নির্দেশ মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এবিসি লাট্টুফকে বরখাস্ত করার আগে উচ্চ পর্যায় থেকে চাপে ছিল। ইসরায়েলের আইনজীবীদের একটি গ্রুপ লাট্টুফকে বরখাস্ত করার দাবি করেছিল।'
তবে এবিসি বলেছে, 'লাট্টুফকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বাইরের চাপ কোনো ভূমিকা পালন করেনি।'
তাসমানিয়ায় একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ বিষয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তিনি এবিসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করবেন না।
'এগুলো এবিসির বিষয় এবং এবিসি সরকার থেকে আলাদা একটি স্বাধীন সংস্থা', বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'এটি অবশ্যই জনসাধারণের মালিকানাধীন। তবে আমি মন্তব্য করে কোনো সমস্যা তৈরি করতে চাই না, যা এবিসিকে নির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা মনে হতে পারে।'
এবিসি জানিয়েছে, লাট্টুফ একটি স্বল্পমেয়াদী চুক্তিতে নিযুক্ত ছিলেন।
এবিসি আরও বলেছে, লাট্টুফকে তার শিফটের জন্য অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের সমালোচনা করে পোস্ট দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি থেকে সাংবাদিক আন্তোয়েনেট লাট্টুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। |
international | কুয়ালালামপুরে ৮ বাংলাদেশিসহ ৪৬ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার | মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি শপিং মল থেকে বাংলাদেশিসহ ৪৬ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আজ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শহরের বুকিত বিনতাংয়ের জালান ইম্বির পাশে একটি শপিং মলের একাধিক দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৪ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৮ জন বাংলাদেশি, ভারতের ১০ জন, মিয়ানমারের ১৬ জন এবং ৮ জন পাকিস্তানের।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) জাফরি এমবোক ত্বহা জানান, একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে সেলুন, বুটিক ও পারফিউমের দোকানে কর্মরত অবস্থায় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ২০ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
সোমবার অভিযানের পর জাফরি এমবোক ত্বহা সাংবাদিকদের বলেন, 'অভিবাসীদের বৈধ পাস বা পারমিট না থাকা, অতিবাহিত হওয়া এবং পাসের শর্ত না মানার অপরাধে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
বিদেশি কর্মীদের নিয়োগে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৫৫বি ধারায় তদন্তের জন্য চার স্থানীয় নিয়োগকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর ২০টি হটস্পটের মধ্যে একটি এ শপিং মল পুলিশের নজরদারিতে ছিল বলেও জানান জাফরি।
| মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি শপিং মল থেকে বাংলাদেশিসহ ৪৬ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। |
international | জাপানে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত | জাপানে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বাংলাদেশ দূতাবাস জাপান দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। একুশের প্রভাতফেরিতে প্রথমে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, এরপর তোশিমা সিটির ডেপুটি মেয়র কাতোসুমি আমাগাই স্থানীয় জাপানি প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাপানিজ সুহৃদ এবং প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক এবং স্থানীয় জাপানি নেতাদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন প্রথম সচিব (লেবার) মো. জয়নাল আবেদিন।
নীরবতার সঙ্গে শ্রদ্ধা জানানো শেষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন প্রথম সচিব (লেবার) মো. জয়নাল আবেদিন।
এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউনেস্কোর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের দেওয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণীগুলো পাঠ করেন যথাক্রমে ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ, মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অফ মিশন শাহ আসিফ রহমান, মিনিস্টার (কমার্স) আরিফুল হক, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) এবং দূতালয় প্রধান শেখ ফরিদ।
এরপর রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
শাহাবুদ্দিন আহমদ স্বাগত বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে মাতৃভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশসহ সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্যে উন্মুক্ত আলোচনায় জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মাসাতো ওয়াতানাবে, সাবেক জেওসিভি স্বেচ্ছাসেবী ওশিমা মুতোসুকো ও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা বক্তব্য দেন।
এরপর দিবসটির তাৎপর্যে 'ভাষা আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধুর অবদান' শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোহাম্মদ ইমরানুল হাসান দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) ।
[email protected]
| জাপানে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। |
international | মোবাইল বিল পরিশোধ না করে দেশে ফিরতে পারবেন না কুয়েতপ্রবাসীরা | ট্রাফিক জরিমানা, পানি ও বিদ্যুৎ বিলের পর এবার মোবাইল বিল পরিশোধ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে কুয়েত সরকার। এসব বিল পরিশোধ না করলে প্রবাসীদের নিজ দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না।
বিমানবন্দর থেকে তাদের ফিরিয়ে দিতে ব্যবস্থাও নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার কুয়েতের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানায়, প্রবাসীরা দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে তাদের কাছ থেকে বিল সংগ্রহের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
প্রবাসীদের এ নতুন আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
যোগাযোগ
মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ আল-মেজরেন বলেন, 'কয়েকদিনের মধ্যে এটি কার্যকর করা হবে। প্রবাসীরা সাহেল অ্যাপ্লিকেশন, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (http://moc.gov.kw) বা বিমানবন্দরে যেকোনো টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া বিমানবন্দরে মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে পরিশোধ করা যাবে।'
কুয়েত ত্যাগ করার আগে প্রবাসীদের বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ এখন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তাদের ট্রাফিক জরিমানা পরিশোধ করতে হয়। বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া, প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত পার্কিং স্পেসে দ্রুত গাড়ি চালানো এবং অবৈধভাবে ব্যবহার করার বিল বিমানবন্দরে পরিশোধ করা যায়।
| ট্রাফিক জরিমানা, পানি ও বিদ্যুৎ বিলের পর এবার মোবাইল বিল পরিশোধ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে কুয়েত সরকার। এসব বিল পরিশোধ না করলে প্রবাসীদের নিজ দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না। |
international | সিডনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কিশোরের বোনের সতর্কবার্তা | অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত শুক্রবার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোর মাহিউদ্দিন মাহী (১৭) নিহত হয়।
আজ সোমবার মাহীর বোন তাসনিয়া উদ্দিন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে চালকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, 'মাহীর মৃত্যু আমাদের জন্য খুবই আবেগের বিষয়। আমি সব চালককে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করতে চাই।'
'তার অমায়িক আচরণ এবং উদারতার জন্য আমরা তাকে আজীবন মনে রাখব,' বলেন তিনি।
তাসনিয়া উদ্দিনের এ সতর্কবার্তাটি আজ অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সবগুলো শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত হয় মাহী। আগামী বছর তার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
কয়েকদিন আগেই 'প্রভিশনাল রেড-পি' লাইসেন্স পেয়েছিল মাহী। লাইসেন্স পাওয়ার পরই পরিবারের কাছে গাড়ি কিনে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। নতুন লাইসেন্স পাওয়া ছেলের অনুরোধে বাবা-মা তাকে কিনে দেয় 'স্পোর্টস কার' মিতসুবিশি ইভিও।
গাড়ি কেনার তিনদিন পর এম ফাইভ মোটরওয়ের গার্ডরেলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিহত মাহী। দুর্ঘটনায় আগুন ধরে তার গাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
সিডনির গ্লেনফিল্ড হার্লসটন অ্যাগ্রিকালচারাল হাইস্কুলের ইয়ার ইলেভেনের শিক্ষার্থী মাহিউদ্দিন মাহীর বাবা গিয়াস উদ্দিন ও মা হাবিবা লিপির সঙ্গে সিডনির এডমনসন পার্ক এলাকায় থাকতেন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
| অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত শুক্রবার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোর মাহিউদ্দিন মাহী (১৭) নিহত হয়। |
End of preview. Expand
in Dataset Viewer.
YAML Metadata
Warning:
empty or missing yaml metadata in repo card
(https://huggingface.co/docs/hub/datasets-cards)
We upgraded our dataset with category. Another column category is added to the dataset which tells which category the text belongs to. We picked 7 categories and manually annotated the dataset over 7 categories, International, State, Entertainment, Economy, Education, and Technology. This dataset will be useful for NLP tasks like Bangla text classification. There are rarely any proper text classification datasets in low-resource languages like Bangla. There are some sentiment classification datasets in Bangla but not rarely in case of which category the text belongs to. So we introduced this dataset with categories that will be useful for text classification in Bangla.
- Downloads last month
- 13