Datasets:

samikhan121

/

yt-mono-fahim-audiobook

like 0

রমনা থানার ওসি জানালেন থানায় এক মহিলা টেলিফোন করে জানিয়েছেন যে তিনি স্পষ্ট দেখেছেন ঘিয়া রঙের পাঞ্জাবি পরা দাড়িওয়ালা এক লোক ইথেনকে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলেছে

দমে দমে আল্লাহর নাম নিবি কিছুক্ষণ পরে পরে আয়তন করছি পরে হাততালি দিবি হাততালির শব্দ যতদূর যাবে ততদূর পর্যন্ত বিশাষবে না

ছায়রা খাতায় লিখছে সে শ্রাবণ মাসের রাতেই ইবলীষ শয়তানের দেখা পায় কিংবা স্বপ্নে দেখে

আমার এক ছাত্র বগুড়া আজিজুল হক কলেজে অধ্যাপনা করে তাঁকে চিঠি লিখে বিষয়টা জানাতে বলেছিলাম

আপনার শরীরের যত্ন নেবেন যদি অনুমতি পাই তাহলে ঢাকায় এসে আপনাকে কদম্বুশী করে যাব

হাসপাতালের মর্গে আমার যাওয়া ইবলীষের সঙ্গে দেখা হওয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়া সবই আমার কল্পনা কিংবা স্বপ্ন

আগে একবার লিখেছি পোস্টমরেম রিপোর্টে ইথারের গর্ভে কোনো সন্তান ছিল এমন কিছুই পাওয়া যায়নি

কালিদাস ছিলেন বিরাট কবি মেঘদূত সন্তর শকুন্তলা এরকম ছয়টা অতি বিখ্যাত কবিতার বই লিখেছিলেন

ছোটবেলায় ঈদ করতেন না অবশ্যই করতাম নতুন জামা জুতা ঈদের আগের রাতে নতুন জুতা বালিশের কাছে রেখে ঘুমাতাম নাকে লাগত চামড়ার গন্ধ

হ্যাঁ হবে আমার এই জীবনে দেখা সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে ঈদের দিন চায়ের নামাজ বদলে নিয়ে বাবা ঈদের নামাজে যাচ্ছেন

মিসির আলি বললেন গোসল নতুন কাপড় পরা ঈদগায় যাওয়া এ অংশগুলি বাদ দিলে কি হয় না

সারা চোখ থেকে কাপড় সরিয়ে হেসে ফেলে বলল আমার যে চোখের পানি আপনি দেখেছেন সেটা আসল না

আমি আজ যাওয়ার সময় নাসরিনকে সঙ্গে করে নিয়ে যাব ঈদ উপলক্ষে আমার বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষণ হইচই করবে

এ বয়সের মেয়েরাই নানান সমস্যা সৃষ্টি করে তবে মেয়েটা খুব কাজের নাম রেশমা ওর লাইফটা একটা খারাপ ইন্সুরেন্স আছে সেটা আপনাকে বলা সম্ভব না

আপনার সঙ্গে আজ রাতে কোনো কথাবার্তা বলতে পারব না দয়া করে কিছু মনে পড়বেন না আমি চারটা পেইন্টিলার খেয়েছি আমার মাথা ঘুরছে

রাগ করলেও আমি অবশ্যই বলে ফেলব আমি পেটে কথা রাখতে পারি না আপনি যে খুব সাধারণ সেটা টের পেলাম তখন আপনার সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিকঠাক হয়ে গেল কারণ আমার ভাগ্য খুব খারাপ আমি এই জীবনে যা চাচ্ছি

এমনিতে আমি খুব সুন্দর যেই দেখবে সেই বলবে সুন্দর অথচ যখন আমাকে সুন্দর দেখানো দরকার তখন আমাকে দেখায় বাদরের মতো

একবার একটা ছেলে আমাকে দলবল নিয়ে দেখতে এল কী সুন্দর ছেলে হ্যান্ডসাম দল প্লেন চালায় পাইলট আমি খুব যত্ন করে সাজলাম সাদার পর আয়না তাকিয়ে দেখি কী যে বাজে

টেলিভিশনে কবিতাবৃত্তির অডিশন দিতে গেলাম বেছে বেছে সেই দিনই আমার গলায় কী যে হল একসঙ্গে দু তিন রকম সর বের হয়

তোমার খালুজান সেই যে গিয়েছে আর ফেরেননি চার দিন হয়ে গেছে টেলিফোন করেনি অফিসেও যায়নি

চাকরি যাওয়া এত সোজা ওকে ছাড়া অফিস চলবে ও একাযথ কাজ করে অফিসের পুলিশ স্টাফ তা করে না

গাধার মত কথা বলবি না ঘরে পেঁপে ছিল নষ্ট হচ্ছিল হালুয়া বানিয়ে রেখে দিয়েছি খাবি

গিয়েছিলাম স্যার আপনার জন্যে আসছি বলো কী ব্যাপার বাড়িতে গিয়ে দেখি বড় স্যারের অবস্থা খুব খারাপ ডাক্তাররা রক্ত দিবেন কিন্তু স্যার আমি

তুমি কি যে ঝামেলা তৈরি করো বোসনা থেকে আমি করব কি মেয়েটার তো অবস্থা খুব খারাপ আমি এসে দেখি এখন মারা যায় এখন মারা যায় অবস্থা অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে

এ জীবনে আপনি যা কিছু সঞ্চয় করেছেন বাড়ি গাড়ি বিষয় সম্পত্তি টাকা পয়সা সব দান করে নিঃস্ব হয়ে যেতে হবে

হেরে দিল কেসে আজব সময় আমার কাজলা দিদি কেড়ে তুই

মেলি তুমি নিজে একটা সুন্দর নাম রাখ তারপর সবাইকে বলো তোমার ভাইয়েই নাম রেখেছে ঠিক আছে

এত বাধ্যবাধকতা কেন নামের মতো সামান্য ব্যাপার নিয়ে এত রকম কন্ডিশন দেওয়া ঠিক না

তা তো ঠিকই তাছাড়া বাবা একা মানুষ সবসময় চিন্তা ভাবনা করেন আমাদের নেতার খুব চিন্তা তো তাই

এটা তোমার ঠিক বললে না বেয়াই সাহেব চিন্তাভাবনা নিশ্চয়ই করে কিন্তু তোমাকে নিয়ে না যতদিন বিয়ে হয়েছে একদিন এসেছেন তোমাকে দেখতে

খুব অসামাজিক তো তাই কোথাও যায় না লেখক মানুষ নিজের চিন্তাভাবনা নিয়ে থাকে ভাইয়ার কোনো দোষধরা ঠিক না মা সে তো আর আমাদের মতো সাধারণ মানুষ না

গরম পানি দিয়ে গোসল করল চা খেল খবরের কাগজ পড়তে পড়তে হো হো করে হাসল নিউজ কীভাবে দেয় দেখেছেন

চাচার হাতে ভাতিজা খুন চাচার হাতে খুন লিখলেই তো বুঝা যায় ভাতিজা খুন হয়েছে কী দরকার ভাতিজার খুন লেখা

তাঁর যথেষ্ট আপত্তি ছিল তবু তিনি বললেন আপত্তি কিসের ঘর তো খালিই পড়ে আছে থাক যতদিন ইচ্ছা

অডিও বুক বাংলা বাই ফাহিমের পক্ষ থেকে আজ আপনাদের পড়ে শোনাচ্ছি স্যার হুমায়ূন আহমেদের লেখা দূরে কোথায় বইটির তৃতীয় পর্ব

প্রথম দিন এসেই সে বলল খালা ছাদের চাবিটা আমাদের কাছে দিন আমি ছাদে খুব হাঁটাহাঁটি করি আপনি ছাদ বন্ধ করে রাখেন কেন

তিনি যে সমস্ত ব্যাপারটা এখন অপছন্দ করছেন তা আকারে ইঙ্গিতে এখন বুঝাতে চেষ্টা করছেন

ডাক্তারের কাছে অন্য সময় যেতে পারবে এখন এসে আপনার জন্য নিজের হাতে রান্নাবান্না করুক খুব খুশি হবে

দেখি মা খুব লজ্জিত ভঙ্গিতে আমার কাছে এসে দাঁড়ানোর অস্পষ্ট স্বরে বললেন ভুল হয়েছে রে মিলি কিছু মনে করিস না

কাউকে না টেলিফোনও করতে দেয় না টেলিফোনের মাউথ পিস খুলে রেখেছে সে যখন কাউকে টেলিফোন করতে চায় তখন মাউথ পিস লাগায়

এটা শোনার টগর খিউ খিউ করে হেসে উঠল জানি এরকম মজার কথা সে আর আগে শোনায়নি

রানুর প্রতি মুহূর্তে ভয় হচ্ছিল সে সিঁড়ি থেকে পতনের শব্দ শুনবে এবং আকবরের মা বালির বস্তার মতো গড়িয়ে পড়বে

সমস্ত খরচ পরিষ্কার করবে পানি দিয়ে মুজবে কার্পেট রোধে দিবে বাথরুমও পরিষ্কার করবে

আমি বেশিক্ষণ থাকব না মিলে আমি এক্ষুণি রওনা হচ্ছি ঠিক আছে ভাইয়াকে দাও তাঁর সঙ্গে আমার খুব দরকারের কথা

ভাবি শোন ভাইয়া আমার সঙ্গে এত খারাপ ব্যবহার করে কেন টেলিফোন করলে সে রিসিভার নামিয়ে রাখে বাসায় বলে দিয়েছে আমি টেলিফোন করলে বলতে সে বাসায় নেই সে এরকম করছে কেন

তুমি বুঝতে পারছ না ভাবি আমি সবাইকেও বলে রেখেছি আমার ভাই নাম রাখছে এখন তার আকিকা হচ্ছে সামনের মাসের তিন তারিখ এগার দিন আছে মোটে

তবে মেয়েটা খুব কাজের নাম রেশমা ওর লাইফে একটা খারাপ ইন্সুরেন্স আছে সেটা আপনাকে বলা সম্ভব না

সাবান দিয়ে ঘষলে তেলতেলে ভাব চলে যায় ঠিকই কিন্তু বিশ পঁচিশ মিনিট পর আবার আগের অবস্থা

দেয়ালঘরিটা নামিয়ে পেনসিল ব্যাটারি তুলে ফেলল সেকেন্ডের কাটার কটক শব্দের হাত থেকে মুক্তি

বিয়ের পর বার্সা যখন স্বাভাবিক মানুষের মতো আচরণ করবে তখন নিশ্চয়ই তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে

বাবা মা দুজনেই গদগত গলায় বলবেন যাকে বিয়ে করেছিস তাকে নিয়ে এক্ষুণি বাসায় আয় তুই যে বেঁচে আছিস এতেই আমরা খুশি

আমার প্রেসক্রিপশনমতো যদি কাজ করতে পারো তাহলে তুমি কিন্তু তোমার বাবা মার কাছে আমাকে হজম করেই ফেলতে পারবে হোজমি বড়ি লাগবে না

মাঝেমধ্যে টিভির খবর দেখেন এবং কিছুক্ষণ পরপর ভুরুকুশকে বলেন সব মিথ্যা কথা

মিরুর বড় বোন রুনি পছন্দ করে একটি ছেলেকে বিয়ে করেছিল বলে তার এই বাড়িতে ঢোকার অনুমতি নেই

তিনি মাঝে মধ্যে তাবিসই নিয়ে আসেন সুতা পরা আনেন তাঁর কাছ থেকে তাবিজ পরা সুতা পরা অত্যন্ত ভক্তি সহকারে গ্রহণ করতে হয়

মিরু ঠিক করে রেখেছে বিয়ের পর যেদিন থেকে সে বাসর বার্সাতের সঙ্গে ঘুমোতে যাবে সে তিনি সে তাবিজ ছিঁড়ে কুড়ায় ফেলে দেবেন

মীরু খুব ভালো করে জানেন তাঁদের কঠিন পরিবারের কাছে বার্সাতকে হজম করানো কোনো ক্রমেই সম্ভব না

কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ের কারণ এই একটাই বাংলাদেশের কোনো মেয়ে কাজির অফিসে বিয়ে করতে চায় না

ড্রয়িং রুমের দরজাটা বন্ধ কিনা দেখে তার পরে ঘুমোতে চা আমার ধারণা দরজা খোলা

কিংবা বাহ আসলে তোমাকে অদ্ভুত লাগছে কপালের টিপটা নিজের হাতে কিছু এঁকে দিয়েছ সুন্দর তো

মিরু কল্পনায় ইন্টারভিউ বোর্ডটা দেখতে পাচ্ছে এবং মনে মনে আশা করছে এই ইন্টারভিউ বোর্ড দেখতে দেখতে তার ঘুম পেয়ে যাবে এবং খুব ভাল ঘুম হবে

আমার এক বন্ধুর মামার ট্রাভেল এজেন্সি আছে সেখানে কিছুদিন বসেছিলাম এখন কিছু করছি না রেস্টে আছি

প্রেমের কারণে যদি আমাকে পুলিশে দেন তাহলে ভ্যারান্টাইজ দিবসে আপনার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে

আমাকে ছোট্ট একটা সুযোগ দিন স্যার একটা টুবি পেনসিল আর এক সেই কাগজ আমার একা পোর্টেট দেখার পর আপনার মন অবশ্যই দ্রবীভূত হবে পেনসিল না থাকলে বল পয়েন্ট দিন

ভাব হবে বিয়ের পর হবে বিয়ের আগে কিসের ভাব যা শুনছি তা কি সত্যি

বেগানা পুরুষের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছি সেটা পাপনা আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে তোর গা ঘেঁষাঘেঁষি করে রিকশায় বসেছিস

বার্শাদকে তুমি পনের মিনিট সময় দিয়ে দাও তাহলে সে তোমার পোর্ট্রেট করে ফেলবে সে পোর্ট্রেট দেখলে তোমার চোখ কপালে উঠে যাবে

কুনার কাজ না সোয়াবের কাজ আমি জানি না তবে তাঁর আঁকা ছবি দেখলে তোমার আক্কেল গুরুম হয়ে যাবে ছবি আঁকা কীভাবে শিখেছ শুনবে না

বার্সাত একদিন গিয়েছে নিউ মার্কেটে ফার্মেসি থেকে অ্যাসিডিটির ওষুধ কিনবে ওর মারাত্মক অ্যাসিডিটি

তুমি সন্দেহ করবে কারণ সন্দেহ করা হল তোমার অভ্যাস আমি যে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস ফেলি তুমি সেই নিঃশ্বাস প্রশ্বাসকেও সন্দেহ কর

যাই হোক ওষুধ কিনতে গিয়ে দেখে ফার্মেসির সামনে এক লোক মেঝেতে বসে ফটোগ্রাফ দেখে দেখে পেনসিলের ছবি আঁকছে

মনে হবে সে বাইরের কেউ না ঘরের মানুষ সে তিনটা প্রাইভেট টিউশনি করে যেসব বাচ্চাদেশে পড়ায় তাদের মায়েদের সঙ্গে ওর খুবই খাতির

মায়েরা তাকে প্রায়ই খবর দিয়ে নিয়ে যায় তাকে নিয়ে শপিংয়ে যায় এটা ওটা কাজ করায় যে কোন কাজ তাকে দাও সে নিখুঁতভাবে করবে

এক ধরনের মানুষই আছে যাদের নিজেদের কোনো কাজ থাকে না তারা কাজের জন্যে অন্যের উপর লেপ্টে থাকে

তুই তো পশ্চিমা মেয়ে না তুই বাঙালি মেয়ে বিয়ের দিন তুই পড়বি টকটকে লাল রঙের শাড়ি

মিরু যত রাতে টেলিফোন করুক দুটা রিং বাজার আগেই রুনি টেলিফোন ধরে সহজ গলায় বলবে

একবার রিং হবার পরে রুনি মিষ্ট গলায় বলল হ্যালো আমি মীরা আপা তুমি জেগে আছ

আমি কেন জেগে আছি তা তোমাকে বলতে পারি কিন্তু তুমি সঙ্গে সঙ্গে সেটা চারদিকে রাষ্ট্র করে দেবে

মেরু ঠিক করল সে যখন জেগেই আছে তখন আর বাবার উটিনের ব্যতিক্রম করাবে না এক কাপচা নিজেই বানিয়ে দেবে

যে টেলিফোন কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ নষ্ট হয় সেই টেলিফোন কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ কি ঠিকও হতে পারে না

তুমিও যাবে আমার সঙ্গে নিজের চোখে জন্মদিনের উৎসব দেখবে এক পিস কেক খাবে বারান্দায় গিয়ে এক বোতল কোক খাবে

তাই রে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে সেই শব্দ শ্রাবণ মাস বৃষ্টি বাদলারই সময়

কথা বাড়িও না তোমা চট করে শাড়িটা বদলাও কতই হালকা সবুজ রঙের যে শাড়িটা কিনেছিলে সেটা পরো

স্যার আমাকে কিছু ডিনামাইট পাঠাবেন আমি খুব কষ্টে আছি এটি আপনার বাধ্যগত ও ইন্দ্রিলা

এখন কেউ রুমাল নিয়ে ঘোরে না তুমি পাঁচশ মানুষকে জিজ্ঞেস করে দেখো তাদের কাছে রুমাল আছে কিনা সবাই বলবে নেই পকেটে রুমাল রাখার ফ্যাশন চলে গেছে

তাই শুরু করতে যাচ্ছি স্কটিশ লেখক স্যর আর্থার কেনান ডোয়ারের লেখা শার্লক হোমসের নতুন সিরিজ

পরিষ্কার ব্যাপারে অনেক কিছু চোখের বাইরে থেকে যায় লেস্ট রেট যা দেখেনি আমার চোখে তা পড়তে পারে

তারপর ডান্ডিতে আঠারোশো পঁচাশি সালের জানুয়ারিতেও এই লোনস্টার নোগন ফ্যামিলি ছিল দেখে নিঃসন্দেহ হলাম খোঁজ নিলাম লন্ডন বন্দরে

তৎক্ষণাৎ গেলাম জাহাজটায় শুনলাম সকালে রওনা হয়েছে সাভানের দিকে মানে দেশে ফিরেছে

কলের জাহাজে আমার এই চিঠি ওদের পালতলা জাহাজের আগে পৌঁছে যাবে ক্যাপ্টেন কালহাউন আর তার দুজন সহকারী কেবল আমেরিকার লোক

কাজেই ওপেনসকে খুনের অপরাধে ত্রিমূর্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৈরি হয়ে থাকবে সাভানায়

কুচক্রী কালহাউন কোনো দিনই জানতে পারেনি তার চাইতেও ধুরন্থর এক ব্যক্তি ধরে ফেলেছে তার শয়তানি

সে বছরের সেই দামাল ঝড় সমুদ্রের বুকে যে তাণ্ডব নাচ নেচেছিল তার খপ্পর থেকে রেহাই পায়নি পালতলা জাহাজ লোনস্টার

এখন আপনারা শুনতে যাচ্ছেন এই সিরিজের সর্বশেষ এবং তৃতীয় গল্প দ্য ম্যান উইথ দ্য টুইস্টেড লিপস

ওর স্বামীটি দারুণ নেশাঘর আফিমের রস মিশিয়ে তামাক খাওয়া ধরেছিল শখ করে এখন আর ছাড়তে পারে না

ওরকম একটা বীভৎস জায়গা কেট একলা যেতে চায় না স্বামীকে আনতে তাই দৌড়ে এসেছে আমার কাছে

যেমন ধরো না কেন তোমার শোবার ঘরের জানালাটা যে ডান দিকে এ জিনিস হয়তো লেস্টেরেডের চোখ হেরে যাবে কিন্তু আমার চোখ হেরায়নি

একক্ষণে জ্বলন্ত কাঠগোয়ালার সামনে একজন রোগা লম্বা বুড়ো মুঠিতে চিবুক আর হাঁটুতে হাত ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে আগুনের দিকে

আমি আড্ডায় পা দিতেই একজন চাকর আফিঙের নল এনে ধরল আমার সামনে আমি সরিয়ে নিলাম

আমার নবজ্রদেহ বলির একাঙ্ক্ষিত মুখে নিষ্প্রভ চোখ মিশে গেল সারি সারি নেশা খোরদের ভিড়ে