author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
-1
economy
অর্থনীতি
২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০০
২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৪৮
খবর
0
পীরগঞ্জে পূবালী ব্যাংকের শাখা
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1042923
অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধাসহ সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ৪৪৭তম শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। শাখাটির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল হালিম চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ আলী। বিজ্ঞপ্তি
275,938
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ মার্চ ২০১৫, ০২:১৭
২৫ মার্চ ২০১৫, ০২:১৮
বিশাল বাংলা,সাভার,ঢাকা বিভাগ,আইন ও বিচার
0
সাভার পৌরসভার মেয়র বরখাস্ত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/485935
সাভার পৌরসভার মেয়র রেফাত উল্লাহকে আবারও বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে গত সোমবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের পর প্যানেল মেয়র আয়নাল হক মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছেন।আয়নাল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে মেয়র রেফাত উল্লাহ অনুপস্থিত থাকায় পৌরসভার কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। গতকাল থেকে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর তিনি কাজ শুরু করেছেন।পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, রানা প্লাজা ধসের পর একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে মেয়র রেফাত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশে গত বছর ৪ মার্চ তিনি আবার মেয়রের দায়িত্ব বুঝে পান। কিন্তু ওই বছরের ১৫ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিধিবহির্ভূতভাবে ধসে পড়া রানা প্লাজা ছয়তলা থেকে দশতলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া এবং পোশাক কারখানা স্থাপনের অভিযোগে দায়ের করা ওই মামলায় রেফাতসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ১৬ জুলাই আদালতে ওই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খলিলুর রহমান ২২ মার্চের আদেশে উল্লেখ করেন, মেয়রসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করায় মেয়রের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় মর্মে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌরসভা আইনের বিধানমতে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
125,810
ফেনী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১৫
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১৭
ফেনী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
সাংবাদিকদের সঙ্গে বিজিবির মতবিনিময়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1085455
ফেনীর ছাগলনাইয়া সীমান্ত দিয়ে মাদক চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা।গতকাল সোমবার সকালে ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্ত ফাঁড়িতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সাংবাদিক মো. মোস্তফা। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক এ বি এম নিজাম উদ্দিন, মো. শেখ কামাল, আবুল হাসান, শাহ আলম। বিজিবির পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. মামুন সভায় উপস্থিত ছিলেন।সভায় লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত অপরাধের অন্যতম কারণ চোরাচালান। রাতে চোরাচালানিরা যাতে অবৈধভাবে পণ্য আনা-নেওয়া না করতে পারে, সে জন্য পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় সীমান্ত এলাকায় সোলার লাইট স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, মাদক নির্মূল করতে যা যা করা দরকার, বিজিবি সদস্যরা তা করতে প্রস্তুত।
295,715
নিজস্ব প্রতিবেদক এবং জাহাঙ্গীরনগর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৭:৩৮
০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:০৬
-1
0
শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/733732
বেতন ও গ্রেড সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেন দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলার কথা থাকলেও দেড়টার দিকে তা শেষ হয়। শিক্ষকেরা বলেছেন, দাবি পূরণ না হলে ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির যে ঘোষণা ছিল, তা কঠোরভাবে পালন করা হবে।‘কিছু সংখ্যক আমলা ষড়যন্ত্র করে এই সংকট সৃষ্টি করেছেন’ উল্লেখ করে তাঁরা ওই আমলাদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে কলা ভবনের সামনে বটতলায় সমাবেশে যোগ দেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা সরকারেরই প্রতিশ্রুতি বলে তাঁরা মনে করেন। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি বেতন স্কেলে প্রতিফলিত হয়নি। তাঁরা মনে করছেন, এটি প্রতিফলিত না হওয়ার জন্য একটি মহল কাজ করছে। শিক্ষকেরা আশা করছেন, আজকের কর্মসূচির পর ওই মহলটিও বিষয়টি অনুধাবন করবেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষক আখতারুজ্জামান, নাজমা শাহীন চৌধুরী, এ এস এম মাকসুদ কামাল, এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।পরে এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, আজ দেশের সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও আজ একই দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বেলা ১১টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত কর্মবিরতির পাশাপাশি নতুন কলা ভবনের করিডোরে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তাঁরা।এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. খবির উদ্দিন বলেন, শিক্ষকদের কাজ ঘণ্টা হিসেবে পরিমাপ করা যায় না। যাঁরা ঘণ্টা দিয়ে শিক্ষকদের পরিশ্রম মাপার চেষ্টা করছেন, তাঁরাই আজকের জটিলতা সৃষ্টি করেছেন। শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান না দিয়ে দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, শিক্ষকেরা মর্যাদার জন্য আন্দোলনে আছেন।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামছুল আলম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. শরীফ উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান প্রমুখ।বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও আজ কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকেরা। বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতির পাশাপাশি কৃষি অনুষদের সামনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ব্যানারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সরদারের সঞ্চালনায় এক সমাবেশে শিক্ষকেরা বলেন, দাবি আদায় না হলে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে।এতে শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যাপক মনোরঞ্জন দাস, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, অধ্যাপক আবু হাদী নূর আলী খান, অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের করিডোরে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এমতাজ হোসেনের সভাপতিত্বে এ কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনে যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম, সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক রাশিদ আসকারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা। আরও পড়ুন:কর্মবিরতি পালন করলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা
190,033
-1
international
আন্তর্জাতিক
২৮ মে ২০১৫, ০২:০৫
২৮ মে ২০১৫, ০২:০৬
ভারত
null
ভারতে অধ্যক্ষ হলেন তৃতীয় লিঙ্গের মানবী
http://www.prothom-alo.com/international/article/539314
ভারতের প্রথম হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ৯ জুন থেকে তিনি কাজ শুরু করবেন। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গতকাল বুধবার দ্য হিন্দু পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের কলেজে অধ্যক্ষ পদের নিয়োগ-সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান দীপক কুমার কর বলেন, ‘কৃষ্ণনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত ২০ বছরের বেশি সময় থেকে মানবী কলেজে শিক্ষকতা করছেন। তাঁর প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও আছে। তিনি (মানবী) নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন।’কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগে ভারতের তৃতীয় লিঙ্গের সবাই খুশি। এ নিয়োগ দেওয়ায় তাঁরা রাজ্য সরকারের প্রশংসাও করেছেন। গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে হিজড়াদের পূর্ণ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
142,631
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
education
শিক্ষা
১৭ জুন ২০১৯, ২০:১১
১৭ জুন ২০১৯, ২০:৩৬
-1
null
পৌনে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী এখনো ভর্তির নিশ্চয়তা দেয়নি
http://www.prothom-alo.com/education/article/1599690
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবে কি না, তার নিশ্চয়তা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে কাল মঙ্গলবার। কিন্তু আগের দিন আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৪ লাখ ৮২ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী সেই নিশ্চয়তার তথ্য জানায়নি।ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর এই তথ্য জানান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি নির্বাচিত প্রার্থীরা ভর্তি হবে কি না তার নিশ্চয়তা না দেয়, তাহলে তাদের নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। এ জন্য তাদের পুনরায় টাকা দিয়ে আবারও ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। আসন নির্ধারিত থাকায় তখন পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই।গত ১২ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত অনলাইনে ও মুঠোফোনে খুদে বার্তায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির আবেদন নেওয়া হয়। শুধু পুনর্নিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হয়েছে, তারা ৩ ও ৪ জুন পুনরায় ভর্তির জন্য আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মোট ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৫৭ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় এবারও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই ভর্তির কাজটি হচ্ছে। যাচাই-বাছাইসহ অন্যান্য কাজ শেষে ২৭ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তির কাজ হবে। আর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ১ জুলাই।
406,263
-1
sports
খেলা
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৪৫
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৪৭
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
ওয়ার্নের টেস্ট দলেও স্টিভ ওয়াহ নেই!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/624712
ওয়ার্নের সেরা অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট একাদশ ম্যাথু হেইডেন, মাইকেল স্ল্যাটার, রিকি পন্টিং, মার্ক ওয়াহ, মাইকেল ক্লার্ক, অ্যালান বোর্ডার (অধিনায়ক), অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মিচেল জনসন, শেন ওয়ার্ন, রায়ান হ্যারিস, গ্লেন ম্যাকগ্রা।দল নির্বাচনের নেশায় পেয়েছে শেন ওয়ার্নকে। আগের দিন গত ২৫ বছরের অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওয়ানডে দল বেছে নিয়েছিলেন। কাল নিজের ফেসবুক পেজে কিংবদন্তি লেগ স্পিনার জানিয়ে দিলেন তাঁর চোখে অস্ট্রেলিয়ার সেরা টেস্ট একাদশ। এখানেই থামছেন না। ‘আসিতেছে’ ‘আসিতেছে’ ভঙ্গিতে গত ২৫ বছরের সেরা ইংল্যান্ড একাদশ এবং অ্যাশেজের সম্মিলিত একাদশ নির্বাচন করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ওয়ার্ন।ওয়ার্নের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু ১৯৯২ সালে। তিনি সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন ১৯৯০ থেকে। এক অর্থে এটাই তাই তাঁর সময়েরই দল। ওয়ানডে দলে স্টিভ ওয়াহকে রাখেননি, টেস্ট দলেও নয়। খেলোয়াড়ি জীবনে স্টিভ ওয়াহর সঙ্গে অম্লমধুর সম্পর্ক এতে ভূমিকা রেখেছে কি না, এই প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে।ওয়ানডের মতো টেস্টেও ওয়ার্নের দলের অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার। বিবেচনাটা নিশ্চয়ই ব্যাটিং নেতৃত্বগুণ দুটি মিলিয়েই হয়েছে। নইলে ওয়ার্ন তো সব সময়ই বলে এসেছেন, তিনি যাঁদের অধিনায়কত্বে খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে মার্ক টেলরই সেরা।ওয়ানডে দলে না রাখলেও বন্ধু মাইকেল ক্লার্ককে রেখেছেন টেস্ট দলে। পাঁচ নম্বরে স্টিভ ওয়াহর পরিবর্তে মাইকেল ক্লার্ক অবশ্যই বিস্ময় জাগাবে অনেকের মনে। সবচেয়ে বড় বিস্ময় অবশ্য তাঁর সময়ের দারুণ সব ফাস্ট বোলারকে টপকে রায়ান হ্যারিসকে সেরা একাদশে রাখা। চোটের কাছে হার মেনে অকালে অবসর নেওয়া হ্যারিসের ২৭ টেস্টে মাত্র ১১৩ উইকেট। ব্রুস রিড, ব্রেট লি, ক্রেইগ ম্যাকডারমট, মার্ভ হিউজ ও জ্যাসন গিলেস্পিকে কীভাবে ভুলে গেলেন ওয়ার্ন? ভোলেননি। চারজন বোলার বেছে নেওয়া খুব কঠিন বলে স্বীকার করে এই নামগুলো বলেছেন ওয়ার্নই। ওয়ার্নের দলের বাকি তিন বোলার ম্যাকগ্রা, জনসন ও তিনি নিজে।ব্যাটসম্যান হিসেবে যাঁদের বাদ দিতে খুব ভাবতে হয়েছে, জানিয়েছেন সেই নামগুলোও—ডেভিড বুন, ডেমিয়েন মার্টিন, মাইক হাসি ও স্টিভ ওয়াহ। যে নির্বাচনটি সবচেয়ে সহজ বলে অনুমিত, উইকেটকিপার হিসেবে সেই অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে নিতেই নাকি সবচেয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গিয়েছিলেন ওয়ার্ন। কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘কিপিং পজিশনটা ছিল খুব কঠিন, কারণ আমার সময়ে যেকোনো দেশের উইকেটকিপারদের মধ্যে সেরা ছিলেন ইয়ান হিলি। দলে এত ব্যাটিং, গিলির ব্যাটিং কি আর দরকার আছে? প্রশ্ন ছিল এটাই। শেষ পর্যন্ত গিলিকেই বেছে নিলাম, কারণ ওর ব্যাটিং ছিল অতিপ্রাকৃত।’
166,630
প্রথম আলো ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
২৬ জুলাই ২০১৩, ০১:৫৬
২৬ জুলাই ২০১৩, ০১:৫৮
এশিয়া
0
এমপি পদ ফিরে পেতে ব্যর্থ কম্বোডিয়ার স্যাম রেইনসি
http://www.prothom-alo.com/international/article/29876
নির্বাসিত জীবন থেকে সদ্য দেশে ফেরা কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা স্যাম রেইনসি গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন। এর ফলে আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতার পথে নতুন বাধার সৃষ্টি হলো।রোববারের নির্বাচনে স্যাম রেইনসির প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নাম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ২০১১ সালে রেইনসি পার্লামেন্ট সদস্যপদ হারান এবং গত বছর নির্বাচনী নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকেও বাদ পড়েন। পার্লামেন্ট সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় মঙ্গলবার তিনি ক্ষমতাসীন দল নিয়ন্ত্রিত জাতীয় পরিষদের দ্বারস্থ হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। এএফপি।
5,328
অনলাইন ডেস্ক
economy
অর্থনীতি
০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০৯
০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:১০
প্রতিষ্ঠানের খবর
0
কেয়ার বাংলাদেশের টিপিং পয়েন্টের কথাচিত্রের আয়োজন
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1560398
ঢাকার গুলশানে সিক্স সিজেন্স হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশের টিপিং পয়েন্ট প্রকল্প একটি কথাচিত্রের আয়োজন করা হয়। গত মঙ্গলবারের এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা শ্লিটার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার হাইকমিশনের উন্নয়ন সহায়তা বিভাগের প্রধান ফেডরা মুন মরিস।প্রদর্শনীতে কথাচিত্রের মাধ্যমে কিশোরী ও নারী তাদের নিজেদের জীবনের এবং সমাজের বিভিন্ন পরিবর্তন তুলে ধরা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে অভিনব পদ্ধতিতে মোকাবিলার চেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন সনাতনী রীতি ও চর্চা যা কিশোরীদের ক্ষমতায়নের পথে বাঁধা সৃষ্টি করে তা এই প্রকল্প ইতিবাচক বার্তা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত ৩ বছরে এই কর্মকাণ্ডে কিশোরী মেয়েদের জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে তার মূল্যায়নের মাধ্যম হিসেবে ‘টিপিং পয়েন্ট’-এর এই কথাচিত্রের আয়োজন। কিশোরী মেয়েদের ও ময়েরা যারা কখনও ক্যামেরা ব্যবহার করেননি, আলোকচিত্রের মাধ্যমে তাদের অভিমত প্রকাশ করে। এই সব আলোকচিত্রের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কিশোরী ও নারীদের জীবনের বাস্তব প্রেক্ষাপট ফুটে উঠছে।সুনামগঞ্জের কিশোরী শিপন হাজরা, সাজেনা আখতার, জেসিয়া আখতার, শিউলি সেনাপতি নিজেরা প্রমুখ তাদের পরিবর্তনের গল্প তুলে ধরেন। নিজেরা করি’র খুশি কবির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা ও আইসিডিডিআরবি–র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট রুচিরা তাবাসসুম নাভেদ প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।কথাচিত্র প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত বিভিন্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় শিক্ষা, খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সুযোগের সঙ্গে বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক প্রবণতার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কিশোরীদের মতে, মেয়েদের জন্য শিক্ষা, খেলাধুলা ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি ছেলেদের গৃহস্থালী বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দেওয়া, বাল্যবিবাহ রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উল্লেখ্য, মেয়েদের সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য, যা ব্যতিরেকে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব নয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
378,968
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১৯ জুলাই ২০১৮, ১৬:৩১
১৯ জুলাই ২০১৮, ১৬:৩৩
রোহিঙ্গা সমস্যা,রোহিঙ্গা শরণার্থী,এশিয়া
null
রোহিঙ্গাদের তাড়াতে আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল মিয়ানমার
http://www.prothom-alo.com/international/article/1536021
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার আগে থেকেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর আক্রমণের ‘ব্যাপক ও রীতিবদ্ধ’ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। ব্যাংককভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফর্টিফাই গুরুত্বপূর্ণ ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে টাইম অনলাইনের এক খবরে প্রকাশ করা হয়েছে।ফর্টিফাই তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ করা হয়েছে, তা বিশ্বাস করার যথার্থ কারণ আছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কমান্ডের চেইন অব কমান্ড এর সঙ্গে যুক্ত।মানবাধিকারবিষয়ক ওই সংস্থা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে অপরাধ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পরিস্থিতি তুলে ধরতে বলেছে।ফর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথু স্মিথ বলেছেন, গণহত্যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে না। এ ধরনের অপরাধের জন্য দায়মুক্তি দিলে ভবিষ্যতে আরও বেশি আক্রমণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথ সৃষ্টি করবে। পুরো বিশ্ব অলস বসে থেকে আরেকটি গণহত্যা ঘটার দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় থাকতে পারে না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেটাই এখন ঘটছে।টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামে পরিচিত বিদ্রোহী গ্রুপ গত বছরের ২৫ আগস্ট দেশটির নিরাপত্তা সদস্যদের ওপর হামলা চালালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বেসামরিক রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষণ, আগুনে পুড়িয়ে মারার মতো নৃশংস প্রতিহিংসামূলক কার্যক্রম চালায়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করতে বাধ্য করে।ফর্টিফাই বলছে, রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগে বাধ্য করা শুধু আরসার ওই আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ঘটেনি। এটা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আগস্ট মাসে আরসার ওই আক্রমণ চালানোর আগে ২০১৬ সালে এ ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময়েও মিয়ানমার সেনাবাহিনী ধর্ষণ, হত্যার মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে হাজারো রোহিঙ্গাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছিল।ফর্টিফাই বলেছে, ২০১৬ সালের ওই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এতে মিয়ানমার সেনাদের সাহস বেড়েছে। তারা দ্বিতীয় আক্রমণের অপেক্ষায় ছিল, যাতে রোহিঙ্গাদের পুরোপুরি তাড়ানো যায়।ফর্টিফাইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আগে থেকে তাড়ানোর পরিকল্পনার পদ্ধতিগত প্রস্তুতির বিশদ বিষয়টি উঠে এসেছে। এ ছাড়া বেসামরিক রোহিঙ্গাদের আগে থেকে দুর্বল করে ফেলার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রতিরোধে ব্যবহার হতে পারে এমন ধারালো বস্তু সরিয়ে ফেলা, স্থানীয় রোহিঙ্গাবিরোধীদের প্রশিক্ষণ, বেড়া বা স্থাপনা ধ্বংস, রোহিঙ্গাদের খাবার ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বা অস্ত্র সরিয়ে ফেলা, অপ্রয়োজনে রাখাইন রাজ্যে প্রচুর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য জড়ো করার মতো বিষয় রয়েছে।ফর্টিফাই বলছে, জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক ফর অ্যানালাইসিস অব অ্যাট্রোসিটি ক্রাইমসে উল্লেখ করা মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার জন্য ‘প্রস্তুতির’ সঙ্গে মিয়ানমারের কার্যক্রমের সাদৃশ্য দেখা গেছে।ফর্টিফাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে আক্রমণ শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্টে এবং এতে ২৭ মিয়ানমার আর্মি ব্যাটালিয়ন অংশ নেয়। মোট ১১ হাজার সেনা ও কমপক্ষে তিনটি কমব্যাট পুলিশ ব্যাটালিয়ন যুক্ত ছিল।রাখাইনে গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ২২ সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেছে ফর্টিফাই এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলা হয়েছে। ওই ২২ জনের তালিকায় মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং, ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ সো উইন, সেনা কর্মকর্তা মিয়া তুনও রয়েছেন।গত মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধের মূল ভূমিকায় থাকা মিয়ানমারের ১৩ সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে। ইউরোপ ও কানাডা মিয়ানমারের সাত জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
370,914
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১১
০১ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৩৬
সরকার
null
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সৌরবিদ্যুৎ দেওয়া হবে: কাদের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1335451
সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কক্সবাজারের ১২টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে। আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের লেদায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শন করে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মানবিক নেত্রী হিসেবে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর নির্দেশেই কক্সবাজারের ১২টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে। রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফেরত না যাওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভাসানচরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী দুই দিনের মধ্যে বাংলাদেশে আসছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে ঠিক একইভাবে চীন এবং রাশিয়াকেও বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।এ সময় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, কক্সবাজার-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকের হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
339,964
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৪৭
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৫৪
সরকার
null
প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানি করা যাবে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1328126
বিদেশ থেকে আমদানি করা চাল সংরক্ষণ বা পরিবহনে পাটের বস্তা ব্যবহার না করলেও চলবে। আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।দেশে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন চাল ব্যবসায়ীরা। বৈঠক চাল ব্যবসায়ীরা পাটের বস্তার বিপরীতে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার দাবি করেন। আইন অনুযায়ী পাটের বস্তায় চালসহ ১৭টি পণ্য পরিবহন, সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ আইন শিথিল করা হলো বলে প্রতিমন্ত্রী জানান। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে উৎপাদিত চাল পরিবহন, সংরক্ষণ অবশ্যই পাটের বস্তাতেই করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করা চালের বস্তায় কোত্থেকে সেই চাল এসেছে, তা উল্লেখ থাকে। তাই সে ক্ষেত্রে কেউ দেশের চালে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করলে তা সহজেই ধরা পড়বে।
338,966
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৭
১৬ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৮
রাজধানী (জাতীয়),রাজনীতি
0
নববর্ষে আ.লীগের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/193615
বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে গত সোমবার রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে আটটায় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। রাজধানীর সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের দলীয় নেতা-কর্মীরা, মহানগরের সব সাংসদ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
66,089
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৮
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৮
বিশাল বাংলা
0
রাজবাড়ীতে গণমনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় আক্রান্ত ২৫ ছাত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1077291
রাজবাড়ী সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসায় গত তিন দিনে ২৫ ছাত্রী গণমনস্তাত্ত্বিক (মাস-হিস্টিরিয়া) সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব ছাত্রীকে দুই দিন মাদ্রাসায় আসতে বারণ করা হয়েছে।উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নে অবস্থিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বৃচাত্রা দারুচ্ছুন্নাহ ফাজিল মাদ্রাসা। গতকাল বুধবার অসুস্থ হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তারা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।বৃচাত্রা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মুসা নোমানী গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার কমনরুমে থাকা অষ্টম শ্রেণির ছয়জন ছাত্রী মাথাব্যথা ও বমি বমি অনুভব করে। কিছুক্ষণ পরে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রী ও নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর একই অবস্থা হয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক আবদুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে মাদ্রাসায় আসেন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই ছাত্রীদের অভিভাবকদের মাধ্যমে বাড়ি পাঠান। মঙ্গলবার সকালে ক্লাস চলার সময় সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ১১ ছাত্রী একইভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়।মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, পরপর দুই দিন এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি লতিফ মিয়া বিষয়টি সিভিল সার্জন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ একটি চিকিৎসক দল এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাদ্রাসায় উপস্থিত হন। তাঁদের উপস্থিতিতে অ্যাসেম্বলি চলছিল। এ সময় অষ্টম শ্রেণির ওই ছয় ছাত্রী মাথাব্যথা ও বমি বমি অনুভব করে। এরপর উপস্থিত চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের পরামর্শে তাদের দ্রুত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুশীল কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, ওই পাঁচ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুপুরের তারা বাড়ি ফিরেছে।এদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মুসা নোমানী বলেন, পরপর তিন দিন একই ঘটনা ঘটায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রী উপস্থিতির হার অনেক কমে যায়। ফলে ব্যবস্থাপনা কমিটির তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে দুই দিনের জন্য মাদ্রাসা শুধু ছাত্রীদের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাদের মাদ্রাসায় আসা লাগবে না।
291,922
-1
international
আন্তর্জাতিক
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪১
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৯
যুক্তরাষ্ট্র
0
প্রচারণায় সপ্তাহে ২০ লাখ ডলার ব্যয়!
http://www.prothom-alo.com/international/article/726655
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মনোনয়নের জন্য প্রচারণায় সপ্তাহে অন্তত ২০ লাখ মার্কিন ডলার খরচের পরিকল্পনা করছেন তিনি। খবর বিবিসির।ধনকুবের ট্রাম্প বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় দলীয় প্রাইমারিকে সামনে রেখে আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও সাউথ ক্যারোলাইনায় ‘উল্লেখযোগ্য’ প্রচারণার উপায় বের করবেন তিনি। নানা কারণে বিতর্কিত ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি নিজেই অর্থায়ন করছেন। লবিস্ট বা বহুজাতিক মহলের করায়ত্ত তিনি হবেন না। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও এ পর্যন্ত খুব কমই ব্যয় করেছেন বলে জানান ট্রাম্প।সিএনএনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২০ লাখ ডলার, কিংবা হয়তো এর চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় করব।... আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও সাউথ ক্যারোলাইনায় আমি বিশাল প্রচারণা চালাব, যেগুলো হবে অত্যন্ত সুসংহত।’এ পর্যন্ত ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা মূলত বিতর্কিত মন্তব্যেই পরিপূর্ণ। সবশেষ তিনি ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এর কিছুদিন আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় উগ্রপন্থী মুসলিম দম্পতির বন্দুক হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধের প্রস্তাব দিয়ে বিতর্কের ঝড় তোলেন।এদিকে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাওয়ার দৌড় থেকে সাবেক নিউইয়র্ক গভর্নর জর্জ পাটাকি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গত মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় সাবেক নিউইয়র্ক গভর্নর পাটাকি লেখেন, প্রচারণা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যোগ্য লোককে মনোনীত করতে পারব’। পাটাকি খুব উল্লেখযোগ্য পদপ্রার্থী ছিলেন না। নির্বাচনে ‘হাই প্রোফাইল’ প্রার্থীদের মধ্যকার টিভি বিতর্কেও তাঁকে নেওয়া হয়নি। পাটাকির প্রচারণায় যুক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রচারণার তহবিল জোগানো এবং গণমাধ্যমের নজর কাড়ায় ব্যর্থতার কারণে নাম প্রত্যাহার করলেন তিনি।
188,131
-1
economy
অর্থনীতি
০৯ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩৯
০৯ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৪০
-1
0
কৃষি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি সই
http://www.prothom-alo.com/economy/article/68974
কৃষি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশের মধ্যে গত বুধবার একটি চুক্তি সই হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এই চুক্তির আওতায় দেশের সব কৃষি ব্যাংকের শাখায় বিকাশের হিসাব খোলা, ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট সেবা পাওয়া যাবে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তিন।
26,676
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ মার্চ ২০১৭, ০২:১৫
২৭ মার্চ ২০১৭, ০২:১৫
রাজধানী (জাতীয়),ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
0
দক্ষিণখানে শিশু ধর্ষণের শিকার, যুবক গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1121128
রাজধানীর দক্ষিণখানের ফায়েদাবাদে গত শনিবার রাতে চার বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রোববার সকালে পুলিশ আবুল খায়ের নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।দক্ষিণখান থানার পুলিশ জানায়, শনিবার রাত নয়টার দিকে প্রতিবেশী খায়ের তাঁর কক্ষে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে শিশুটি বাসায় এসে কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা–বাবা বিষয়টি জানতে পারেন। গতকাল সকালে এ ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় খায়েরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দক্ষিণখান থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হওয়ার পরই খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
306,944
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৭
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০২
সোনারগাঁ,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
পঙ্খিরাজ দখল করে স্থাপনা কাজ হচ্ছে না নোটিশ দিয়েও
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/440656
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী পঙ্খিরাজ খাল দখল করে বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন দখলদারদের নোটিশ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈশা খাঁর আমলের পঙ্খিরাজ খালটি দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা-ট্রলার চলাচল করত। এ খাল দিয়ে সোনারগাঁ পৌরসভা ও সনমান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দারা নৌপথে বর্ষা মৌসুমে মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। পৌরসভার অধিকাংশ গ্রামের পানি নিষ্কািশত হতো এ খাল দিয়ে। চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটির পুরো অংশজুড়ে দুই পাশে দখলদারেরা পাকা স্থাপনা ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দখলে নিয়েছেন।উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খালের দুই পাশে স্থাপনা ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছেন ৬০ জনের বেশি ব্যক্তি। খালটি বর্তমানে দখল হওয়ার কারণে পানিনিষ্কাশন ঠিকমতো হচ্ছে না। এ কারণে বর্ষায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়।ষোলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলী মিয়া বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরের পাশের এ খালটি দখল হয়ে গেছে। অথচ দখলদারদের শুধু নোটিশ দিয়েই দায়িত্ব সেরেছে প্রশাসন। খালটি দখলমুক্ত করতে গ্রামবাসী ছয় বছর ধরে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে কাজ হচ্ছে না। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালটির দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এটিকে দখলমুক্ত করা হয়েছিল। পরে আবার দখল হয়ে যায়।সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান বলেন, খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। মানুষকে জলাবদ্ধতার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।ইউএনও আবু নাছের ভূঞা বলেন, ‘খালটির দুই পাশের অবৈধ দখলদারদের কয়েক দফা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা প্রশাসনের আদেশ মানছেন না। আমরা তাঁদের উচ্ছেদ করে খালটি দখলমুক্ত করব।’
111,959
যশোর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ মার্চ ২০১৬, ২৩:২৭
২৭ মার্চ ২০১৬, ২৩:৪০
অপরাধ
0
যশোরে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/811690
যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকায় কলেজছাত্র হাসিবুল হাসান ওরফে জিমকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহত হাসিবুল যশোর সরকারি সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে শহরের চোরমারা দিঘিপাড় এলাকার শেখ আজম তরফদারের ছেলে।হাসিবুল হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ককটেলের আঘাতে রেজোয়ানুল হাসান নামের এক কিশোর আহত হয়। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, হাসিবুল কয়েকজন বন্ধুসহ রায়পাড়া এলাকার এক মাদক বিক্রেতার বাড়ির সামনে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় তাদের নিজেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্য থেকে একজন হাসিবুলের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, হাসিবুলসহ তার কয়েকজন বন্ধু মাদক সেবন করছিল। এ সময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে একজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকারীদের কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
214,396
কৌশিক বসু
opinion
মতামত
০২ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৪৪
০২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:২১
মতামত,আন্তর্জাতিক
0
বিশ্ব অর্থনীতির প্রসববেদনা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/728293
নতুন বছর কেমন কাটবে বিশ্ববাসীর? পৃথিবীর প্রথম সারির নেতা ও ভাবুকেরা তুলে ধরেছেন তার এক আগাম ছবি। বাংলাদেশে শুধু প্রথম আলোকে দেওয়া প্রজেক্ট সিন্ডিকেটের নিবন্ধ নিয়ে চার দিনব্যাপী বিশেষ আয়োজন। আজ দ্বিতীয় দিনে প্রকাশ হলো আরও দুটি লেখা।২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া আর্থিক সংকটের উৎস থেকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, তা সহনক্ষমতার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারে। যে কথা নিশ্চিত করে বলা যায়, তা হলো এই যে জাপানের প্রবৃদ্ধি থেমে যাওয়া, চীনের প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়া, রাশিয়ার অর্থনীতির গভীর সংকট এবং অভিন্ন মুদ্রা ইউরো ব্যবহারকারী ইউরোপীয় দেশগুলোর সংকট এখনো কাটিয়ে উঠতে না পারার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির বিপদ এখনো কাটেনি।এই ‘একটানা মন্দা’ ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে কিছু দ্বন্দ্ব মিলিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এক গভীরতর পরিবর্তন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সে পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে দুই ধরনের আবিষ্কার: শ্রম-সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ও শ্রমিক-সংযোগ প্রযুক্তি।শ্রম-সাশ্রয়ী প্রযুক্তি দীর্ঘ সময় ধরেই আছে, তবে সাম্প্রতিক কালে তা আগের চেয়ে বেশি গতিশীল হয়েছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত রোবটের বিক্রি ২০১৪ সালে আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। সে বছর সারা বিশ্বে বিক্রি হয়েছে মোট ২ লাখ ২৫ হাজার শিল্প-রোবট। তবে শ্রমিক-সংযোগ প্রযুক্তির উত্থান আরও বেশি রূপান্তরমূলক: গত তিন দশকে ডিজিটাল প্রযুক্তির যে প্রসার ঘটেছে, তার ফলে মানুষ এখন নিজের দেশে বসেই বিদেশি নিয়োগকর্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কাজ করতে পারে, সে জন্য তাদের বিদেশে যেতে হয় না।উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এসব পরিবর্তন ধরা পড়েছে বেশ লক্ষণীয় পরিসংখ্যানগত প্রবণতার চিত্র থেকে। এসব দেশে জিডিপির শতকরা হার হিসাবে শ্রমিকদের আয় এত উচ্চহারে কমে যাচ্ছে, যা এর আগে খুব কমই দেখা গেছে। ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকের আয় জিডিপির ৬১ শতাংশ থেকে কমে ৫৭ শতাংশে নেমেছে। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় তা ৬৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৫৪ শতাংশ; কানাডায় ৬১ শতাংশ থেকে ৫৫ শতাংশ; জাপানে ৭৭ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ এবং তুরস্কে ৪৩ শতাংশ থেকে ৩৪ শতাংশ।উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে শ্রম-সাশ্রয়ী প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মধ্য মেয়াদে লাঘব হয় শ্রমিক-সংযোগ প্রযুক্তির দ্বারা। যেসব উদীয়মান অর্থনীতিতে শ্রম সস্তা এবং যেগুলো মৌলিক অবকাঠামো ও নিরাপত্তা ভালোভাবে নিশ্চিত করতে পারে, তারা বৈশ্বিক কাঠামোগত এই পরিবর্তন থেকে ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারে। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই আমরা তা দেখতে পাই। ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাময়িকী ফরচুন-এর জরিপে যে ৫০০টি শীর্ষ করপোরেশনের তালিকা প্রতিবছর তৈরি করা হয়, যা ‘ফরচুন ৫০০’ নামে পরিচিত, ১৯৯০ সালে তার মাত্র ৫ শতাংশ করপোরেশন ছিল উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৬ শতাংশ। ওই তালিকায় চীনা করপোরেশনগুলোর অবস্থান বেশ ওপরের দিকে। ১৯৯০ দশকে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উত্থান শুরু হয়; এই খাতটি সে দেশের পুরো অর্থনীতিকেই অনেক ওপরে তুলেছে। মালয়েশিয়ায় ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস করপোরেশন ‘পেট্রোনাস’। পৃথিবীর ৩৫টি দেশে এখন পেট্রোনাসের ব্যবসা আছে এবং এটিকে এখন বলা হয় নতুন ‘সেভেন সিস্টার্স’-এর অন্যতম। এই ‘সেভেন সিস্টার্স’ হলো সেই সাতটি জ্বালানি করপোরেশন, জ্বালানির বৈশ্বিক বাজারে যাদের আধিপত্য সর্বাধিক।এটা অবশ্য ঠিক যে উদীয়মান অর্থনীতির কয়েকটি দেশ দুর্নীতি ও ভোগ্যপণ্যের মূল্যহ্রাসে জর্জরিত। এর একটা বড় দৃষ্টান্ত ব্রাজিল, সেখানে ২০১৫ সালে জিডিপি ৩ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তারপরও দেখা যাচ্ছে, যেসব দেশের বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে, সেগুলো উদীয়মান অর্থনীতিরই দেশ। এসব দেশের মধ্যে আছে ভিয়েতনাম (৬.৫ শতাংশ), ভারত, চীন, বাংলাদেশ ও রুয়ান্ডা (৭ শতাংশের কাছাকাছি) এবং ইথিওপিয়া (৯ শতাংশের বেশি)।২০১৬ সাল ও তার পরের বছরগুলোতে আমরা সম্ভবত ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আচরণ দেখতে পাব। ভবিষ্যতের নতুন পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম দেশগুলো উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে বেরিয়ে আসবে। এটা যখন ঘটবে, তখন উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে, কারণ তাদের শ্রমিকেরা বিশ্বায়িত শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে। তাদের মধ্যে আয়বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে; একই সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেখা দিতে পারে আরও ঘন ঘন এবং আরও প্রবল মাত্রায়। কিছু রাজনীতিকের প্রস্তাব হলো, আউটসোর্সিং বন্ধ করে দিয়ে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু সেটা করা হলে ভুল করা হবে। কারণ, যেসব দেশ আউটসোর্সিং বন্ধ করে দেবে, তাদের উচ্চ উৎপাদন খরচের কারণে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় তারা পেরে উঠবে না।প্রযুক্তির অব্যাহত অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে এই চাপগুলো শেষ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে; শ্রমিকদের আয় কমে যাবে; বৈশ্বিক পরিসরে যে অসমতা এখনই অসহনীয় মাত্রায় বেশি, তা আরও বেড়ে যাবে। যখন এসব ঘটতে থাকবে, তখনকার চ্যালেঞ্জ হবে এটা নিশ্চিত করা, যেন সব প্রবৃদ্ধি শেষ পর্যন্ত উৎপাদনযন্ত্রের মালিক ও অংশীদারদের হাতে গিয়ে কুক্ষিগত হতে না পারে। এটা এমন এক চ্যালেঞ্জ, যার তুলনা করা যেতে পারে ১৯ শতকের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্যে শিল্পবিপ্লবের সময় দেশটির সামনে যে চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছিল তার সঙ্গে। তখন পর্যন্ত শিশুশ্রম ছিল ব্যাপক এবং সেটাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হতো। শ্রমিকেরা নিয়মমাফিক দৈনিক ১৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে খাটত। রক্ষণশীলেরা এর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বলত যে অবিরাম পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে চরিত্র গড়ে ওঠে (বলাই বাহুল্য যে চরিত্র গঠন হতো অন্য লোকদের, রক্ষণশীলদের নয়)। প্রগতিশীল বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সংগঠনের আন্দোলন-সংগ্রাম, বুদ্ধিজীবীদের লেখালেখি ও প্রবল প্রয়াসের মধ্য দিয়ে যে ‘ফ্যাক্টরি অ্যাক্টস’ বা কলকারখানায় শ্রমিকদের কাজ-সম্পর্কিত আইনবিধান প্রণয়ন ও গ্রহণ করা হয়, তার ফলে শ্রমিকদের অমানুষিকভাবে খাটানোর ওই সব ঘৃণ্য চর্চা সীমিত হয়। ফলে যুক্তরাজ্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায় এবং প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটা কেন্দ্র হয়ে ওঠে।আমাদের চিন্তাভাবনায় কত নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে, তা পুরোনো নথিপত্র থেকে দেখা যেতে পারে। ১৭৪১ সালে আবিষ্কারক জন ওয়াইয়াট (১৭০০-১৭৬৬) তাঁর নতুন সুতাকাটা যন্ত্র (রোলার স্পিনিং মেশিন) সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে গিয়ে দেখিয়ে দেন, তাঁর এই নব-আবিষ্কৃত যন্ত্র ব্যবহার করলে কারখানার মালিকেরা কীভাবে ৩০ জন পূর্ণবয়স্ক শ্রমিকের কাজ করাতে পারবেন মাত্র ১০ জন ‘রোগা-পটকা লোক অথবা শিশু’ দিয়ে। ওই যন্ত্রের পেটেন্ট অনুমোদন করেছিলেন যে অ্যাটর্নি জেনারেল, তিনি ছিলেন আরেক কাঠি সরেস, বলেছিলেন, ‘এমনকি পাঁচ বা ছয় বছর বয়সী শিশুরাও’ এই যন্ত্র চালাতে পারবে।আরও একবার বুদ্ধিবৃত্তিক ও নীতিগত সংস্কারের সময় এসেছে। আমাদের এই পৃথিবীর বিরাট এক অন্যায় হলো এই যে বিপুলসংখ্যক মানুষ অসাম্যের মধ্যেই জন্ম নেয়। অভাবগ্রস্ত ও নিঃস্ব পরিবারগুলোতে যেসব শিশুর জন্ম হয়, তারা জীবনের শুরুতেই পুষ্টিহীনতার মুখে পড়ে, তাদের বৃদ্ধি ঘটে না, তারা হয় খর্বাকৃতি। অন্যদিকে অতি অল্পসংখ্যক শিশু পৃথিবীতে আসে পাহাড়সম সম্পদের মালিকদের উত্তরসূরি হয়ে। শ্রমিকদের আয় যত কমবে, এই বৈষম্য ততই বেড়ে যাবে। তার ফলে বিচিত্র রকমের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে।সেসব সংকট এড়াতে হলে সর্বোপরি প্রয়োজন হবে শিক্ষার বিস্তার ঘটানো, কর্মদক্ষতা সৃষ্টি করা এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন হবে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনার। একই সঙ্গে শ্রমিকদের আয় বাড়ানোর নতুন উপায় সম্পর্কেও আমাদের চিন্তা করতে হবে।লভ্যাংশ ভাগাভাগির কিছু পদ্ধতিকে একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কোনো কোম্পানিতে যদি শ্রমিকদের অংশীদারত্ব থাকে, তাহলে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার দুশ্চিন্তার উৎস হবে না। কারণ, শ্রমিকের মাইনে কমে গেলেও ইক্যুইটি আয় বেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে তার ক্ষতিপূরণ হবে।মার্টিন ওয়াইটসম্যান, রিচার্ড ফ্রিম্যান ও রবার্ট হোকেটসহ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ ও আইনজ্ঞ এ বিষয়ে লেখালেখি করেছেন। কিন্তু সব নতুন উদ্ভাবনের মতো এ বিষয়েও সঠিক পথ খুঁজে পাওয়ার জন্য অনেক গবেষণা প্রয়োজন। ২০১৫ সালে আমরা যা জানলাম ও শিখলাম, তা হলো এই যে কিছুই না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকার মতো বিলাসিতার সুযোগ আমাদের নেই।স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট; অনুবাদ: মশিউল আলম কৌশিক বসু: বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক।আগামীকাল পড়ুন: রবার্ট ও. প্যাক্সটনের লেখাআরও পড়ুন: সংকটের বিশ্বে ইউরোপীয় সংহতি
188,717
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর
opinion
মতামত
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২৮
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২৮
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর,মতামত,লেখকের কলাম
null
সভা-সমাবেশে ‘অর্থহীন’ বক্তৃতা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1084089
বেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী কথা বলেছেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন: ‘সভা-সমাবেশ বা বক্তব্যে জনমত সৃষ্টি হলেও এখন বেশির ভাগ বক্তব্যে অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা আলোচনা হয়। এসব দৃষ্টিকটু। এতে কোনো “আউটপুট” হয় বলে আমার মনে হয় না।’ এ সময় তিনি সব ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ছোঁয়া এলেও সভা-সমাবেশকে ঘিরে কোনো পরিবর্তন আসছে না বলেও মন্তব্য করে বলেন, ‘দিনের আট ঘণ্টা হচ্ছে কর্মঘণ্টা। এর মধ্যে শুধু পাঁচ ঘণ্টা যদি বক্তব্য-সমাবেশের পেছনেই কাটিয়ে দিই, তাহলে কীভাবে হবে। আর বক্তব্য দিয়ে তো কোনো কিছু হয়ই না। সভা-সমাবেশগুলোতে প্রধান অতিথিকে খুশি করার জন্য বক্তারা ‘তেল মারেন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি সমাবেশে যত লোক বক্তব্য দেন, আমি মনে করি, এটা শতভাগ গুরুত্বহীন।’মেয়র আরও বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হচ্ছে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু একটি জায়গায় আমরা কেন জানি খুব বেশি দৃষ্টি দিচ্ছি না। আবার এখানে কার নাম আগে বা পরে কিংবা বিশেষণ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটা নিয়েও চিন্তায় থাকতে হয় বক্তাকে।’ (দৈনিক আজাদী, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)খুব জরুরি একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির। এটা হয়তো দারিদ্র্য, শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের মতো কোনো জাতীয় ইস্যু নয়। কিন্তু আমাদের রাজনীতি, জাতীয় সংসদ, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজ যেভাবে চলছে, তাতে উপরিউক্ত বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয়। মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পর দাপ্তরিক কারণেই তাঁকে হয়তো প্রতিদিন একটি বা একাধিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হয়। অনুমান করি, বেশির ভাগই হয়তো সরকারি অনুষ্ঠান।সরকারি অনুষ্ঠানে আগে আমলাদের বক্তৃতা করার রেওয়াজ ছিল না। এখন প্রতিটি সরকারি অনুষ্ঠানে আমলা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠানের প্রধান, কয়েক রকম বিশেষ অতিথি রাখতেই হয়। নইলে সভা পূর্ণ হয় না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নাম কার্ডে ঠিকমতো লেখা হয়নি বলে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে, এমন খবর পাঠক সংবাদপত্রে বহুবার পড়েছেন।বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে যদি শুধু প্রয়োজনীয় কথাটিই বলা হয়, তাহলে অর্ধেক সময়ে অনুষ্ঠান শেষ করা সম্ভব। কিন্তু অপ্রয়োজনীয়, অর্থহীন ও স্তাবকতাধর্মী কথা বলতে বেশির ভাগ বক্তা পছন্দ করেন। সত্যি কথা বলতে কি, অর্থহীন কথা বলতে আমাদের জুড়ি নেই। সংক্ষেপে আমরা কথা বলতেই পারি না। ‘টু দ্য পয়েন্ট’ কথা বলা আমাদের ধাতে নেই। অনেকে সুযোগ পেলে ব্রিটিশ আমল থেকে বক্তৃতা শুরু করেন। অনুষ্ঠানে আরও কজন বক্তা রয়েছেন, আরও কী কী কর্মসূচি রয়েছে, তা আমরা খেয়াল করি না। প্রত্যেকের কাছে নিজের বক্তৃতাটিই গুরুত্বপূর্ণ।বড় বড় সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা যদি লিখিত ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন, তাহলে অপ্রয়োজনীয় কথা বলার সুযোগ কম থাকে। লিখিত বক্তব্যে অপ্রয়োজনীয় কথা বলতে অনেকেই সংকোচ বোধ করবেন। লিখিত বক্তব্যে স্তাবকতা করাও একটু কঠিন।অনেক বক্তা রসিকতার নামে অর্থহীন কথা বলেন। সব অনুষ্ঠানে যে রসিকতা করা যায় না বা রসিকতা সুন্দর হয় না, তা অনেকে বুঝতে পারেন না। অনেক বক্তার মধ্যে একটা হীনম্মন্যতা কাজ করে। তা হলো: ‘যদি আমি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করি, তাহলে সভার উদ্যোক্তা বা অনেক শ্রোতা আমাকে কম জ্ঞানী মনে করতে পারে।’ এই কমপ্লেক্স থেকেও অনেক বক্তা অহেতুক ও অর্থহীন দীর্ঘ বক্তৃতা করে থাকেন। যাঁরা হীনম্মন্যতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত দিই। খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী ড. আনিসুজ্জামান যেকোনো সভায় অন্য বক্তাদের তুলনায় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন এবং সভার বিষয় সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি তিনিই বলেন। কাজেই বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত হলেই যে বক্তৃতায় সারবস্তু কম থাকে, তা নয়। বক্তৃতার সারবস্তু নির্ভর করে বক্তার প্রস্তুতির ওপর। অনুষ্ঠানের বা সেমিনারের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বক্তা কতটা ভেবেছেন। এ ব্যাপারে বক্তার কোনো নতুন বক্তব্য আছে কি না। অনুষ্ঠান যদি সমস্যাকেন্দ্রিক হয়, তাহলে দেখতে হবে, এ ব্যাপারে বক্তার কোনো সমাধান-প্রস্তাব আছে কি না।কোনো আন্তর্জাতিক বা জাতীয়ভিত্তিক সভা-সম্মেলনে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের লিখিত বক্তৃতা করাই ভালো। তাতে সুচিন্তিত বক্তৃতা করার সুযোগ থাকে এবং সময়ও কম লাগে।আমাদের জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কী ধরনের বক্তৃতা হয়, কী-বিষয়ক অধিবেশনে কী ধরনের বক্তৃতা হয়, তা নিয়ে একটা ভালো গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। জাতীয় সংসদে প্রদত্ত বক্তৃতা কিছু কঠোর নিয়মের মধ্যে রাখা উচিত। কারণ, জাতীয় সংসদের একটি অধিবেশন খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। আর এই ব্যয় বহন করা হয় দেশের সাধারণ মানুষের কর থেকে। সে জন্য আমরা প্রস্তাব করব: জাতীয় সংসদের একটি মৌসুমের সব কটি অধিবেশনের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে তা পর্যালোচনা করা যেতে পারে। একটি দলনিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ বা গবেষক টিম তা পর্যালোচনা করে দেখতে পারে।আমরা এই আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সভা নিয়ে কোনো মন্তব্য করছি না। কারণ, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তাদের নিজস্ব খরচে এসব সভার আয়োজন করা হয়। শ্রোতারাও তাদের দলের। কাজেই তাদের সভায় তারা যেমন খুশি বক্তৃতা করুক, তা নিয়ে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না। শুধু একটি পর্যবেক্ষণ। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর তেমন টার্গেট কর্মসূচি বা ক্যাম্পেইন আছে বলে মনে হয় না। সরকারি দল প্রধান বিরোধী দলকে, প্রধান বিরোধী দল সরকারের নানা সমালোচনা করে থাকে। এটা তাদের রুটিন কাজ। তাদের দলের যেকোনো সভা-সেমিনারে বক্তৃতার এটাই প্রধান বিষয়বস্তু। সঙ্গে যুক্ত থাকে দলপ্রধানের প্রতি কিছু স্তাবকতা।আমরা দাবি করে থাকি, আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। আমরা আর কয়েক বছরের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব। সবই সত্যি। তাহলে আমাদের রাজনীতিতে, জাতীয় সংসদের বিতর্কে, সরকারি সভা-অনুষ্ঠানে গুণগত পরিবর্তন আনতে আমরা অনাগ্রহী কেন? দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অনেক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে। বক্তৃতার ব্যাপারেও আমাদের সনাতন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা দরকার। অর্থহীন কথা বলে সময় নষ্ট করার সময় আমাদের নেই। কথাকে সংক্ষিপ্ত করতে হবে। কথাকে অর্থপূর্ণ করতে হবে। যদি আমরা তা করতে পারি, তাহলে এর সুফল একদিন আমরাই ভোগ করব।মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: মিডিয়া ও উন্নয়নকর্মী।
295,108
নাদিয়া মাহমুদ
life-style
জীবনযাপন
২১ মার্চ ২০১৭, ০০:০৯
২১ মার্চ ২০১৭, ০০:০৯
নকশা
0
তারুণ্যে বাংলাদেশ
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1114453
কিছুদিন আগে একটি মেলায় গিয়েছিলাম। ব্যাগ কিনব বলে একটি স্টলে ঢুকলাম। হরেক রকম ব্যাগের পসরা সাজানো ছিল সেখানে; কিন্তু ‘আই লাভ বাংলাদেশ’ লেখা একটি পাটের ব্যাগেই নজর আটকে গেল। সাধারণ একটি ব্যাগ, কোনো বাড়তি নকশা নেই। কিন্তু দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা লেখা থাকাতেই সেটি হয়ে উঠেছে বিশেষ। বরাবরই তরুণদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের কিংবা বাংলাদেশের স্মারক সংগ্রহের ঝোঁক বেশি দেখা যায়। নানা রূপের এই স্মারক সংগ্রহ করা তাঁদের সবার ঠিক নেশা নয়, এটা শুধুই ভালোবাসা। বেশ কয়েকজন তরুণের কাছে জানতে চেয়েছিলাম অফিস ডেস্কে পতাকা কেন রাখেন? অথবা বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা ওই মগটিই কেন বেছে নিলেন? সবার উত্তরই প্রায় অভিন্ন। ভালো লাগে, তাই করেন। আর এই ভালো লাগা কিংবা ভালোবাসার প্রকাশটা শুধু দিবসকেন্দ্রিক নয়। সারা বছরই তরুণেরা এ ভালোবাসা লালন করে চলেন। আর স্বাধীনতা বা বিজয় দিবস কিংবা বাংলাদেশের সাফল্যের কোনো উদ্‌যাপনে এই প্রকাশটা হয়ে ওঠে ব্যাপক।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র সাহিল নিহালকে প্রায়ই গাঢ় সবুজ রঙের একটি টি-শার্ট পরতে দেখা যায়। সেই টি-শার্টের মাঝখানে আবার একটি বড় লাল বৃত্ত। মানে বাংলাদেশের পতাকার আদলে তৈরি টি-শার্ট পরে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ান এই তরুণ। তাঁর সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তখনো গায়ে ওই একই পোশাক। এই টি-শার্টটি তাঁর এত পছন্দ কেন, জানতে চাইলে বলেন, ‘এটা পরতে আমার কেন এত ভালো লাগে সেটা বলে বোঝাতে পারব না। তবে, দেশ ও দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি অন্যরকম একটা আবেগ তো কাজ করেই।’ যোগ করেন, ‘আমার ব্যাগে সব সময় বাংলাদেশের একটা পতাকা থাকে। যেখানেই যাই মনে হয় দেশ আমার সঙ্গে আছে অথবা উল্টোভাবে বলা যায় আমি দেশের সঙ্গে আছি। আমি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, দেশের অনেক বড় বড় আন্দোলনে অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু পতাকাটা সঙ্গে থাকলে দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করি। এটা একটা অদ্ভুত অনুভূতি। আমি আসলেই এটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’সাহিব বলেন, পতাকার টি-শার্টটি পরলে নাকি তাঁর নাম হয়ে যায় বাংলাদেশ। কীভাবে? দূর থেকে যখন কেউ তাঁকে এই টি-শার্ট পরা দেখে তখন ডাক দেয়, ‘এই বাংলাদেশ’ বলে। বিষয়টা বেশ গর্বের সঙ্গেই উপভোগ করেন এই তরুণ।পতাকার আদলে তৈরি যে টি-শার্টটি আজকাল অনেককে পরতে দেখা যায়, তার তৈরি হওয়ার গল্পটাও বেশ মজার। ফ্যাশন হাউস নিত্য উপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান সেই গল্প শোনালেন। তাঁর মুখ থেকেই সেটি তুলে দেওয়া হলো, ‘ঢাকার নীলক্ষেতে একবার আমার পরিচিত এক ছেলের পরনে লাল-সবুজ টি-শার্ট দেখে স্লোভাকিয়ার এক পর্যটকের খুব ভালো লেগে যায়। স্লোভাকিয়ার সেই পর্যটক বাংলাদেশের স্মারক হিসেবে এমন কয়েকটি টি-শার্ট তাঁর দেশে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এরপর আমার পরিচিত ছেলেটি তাঁকে আমার কাছে নিয়ে আসেন। বলেন এমন কয়েকটি টি-শার্ট তাঁকেও বানিয়ে দিতে হবে। সেই পর্যটকের আগ্রহেই মূলত ২০০৫ সালে আমাদের ফ্যাশন হাউসে এই টি-শার্টগুলো নিয়ে আসি।’শুধু কি পতাকা কিংবা টি-শার্ট? চাবির রিং, মুঠোফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপের কভার, ডায়েরি, মগ, গয়না, পোস্টার নানাভাবে দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ উঠে আসে তরুণদের প্রতিদিনের জীবনে।স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে রাস্তায় বের হলেই যেমন মন ভালো হয়ে যায়। রিকশা, গাড়ি, অটোরিকশা, সাইকেল—সব যানবাহনে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখা যায় বিশেষ এই দিনগুলোতে। বিডিসাইক্লিস্টের প্রশাসক ফুয়াদ আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরে তাঁরা বিশেষ রাইডের আয়োজন করেন। সাইকেল আরোহীদের সেদিন লাল-সবুজ পোশাক পরে আসার জন্য উৎসাহিত করা হয়। নিজে থেকেই অনেকে আবার পতাকার রঙের ব্যান্ডেনা মাথায় বাঁধেন। সাইকেলের সামনে রেখে দেন ছোট একটি পতাকা। ফুয়াদ আহসান চৌধুরী বলেন, ‘হৃদয়ে যাঁরা লাল-সবুজ ধারণ করি, তাঁরা পোশাকেও এই রংটি বহন করতে ভালোবাসি। তবে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে কোনোভাবে যেন আমাদের পতাকার অসম্মান না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়।’সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে কথা হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ছাত্রী সৈয়দা রুসেলী মেহনাজের সঙ্গে। নর্থ টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী দেশে থাকাকালীন বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত এমন কিছু দেখলেই তা কিনে ফেলতেন। দেশে এলে এখনো কেনেন। অবশ্য এখন শুধু নিজের জন্য নয়; তাঁর বিদেশি বন্ধুদের জন্যও নিয়ে যান বাংলাদেশের নানা স্মারক। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর প্রথম যে স্বাধীনতা দিবস এসেছিল, সেদিন ভীষণ মন খারাপ ছিল তাঁর। বাংলাদেশে থাকলে এই দিনটিতে ছুটি কাটাতেন। লাল-সবুজ পোশাক পরে উদ্‌যাপন করা হতো স্বাধীনতা দিবসের নানা আয়োজন। প্রবাসে তো আর সেই সুযোগ নেই। তাই সে বছর ২৬ মার্চে নিজেই কাগজ কেটে জাতীয় পতাকার রঙে একটি ব্যাজ বানালেন। কাজে যাওয়ার সময় বুকের কাছে লাগালেন সেই ব্যাজ। রুসেলী বলেন, ‘সেদিন বিদেশিরা সবাই যখন আমাকে প্রশ্ন করছিল এটা কী পরেছ? আমার বলতে ভীষণ গর্ব হচ্ছিল যে, আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। নয় মাস লড়াই করার পর সেই মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয়ী হই। আর এটি আমার স্বাধীন দেশের জাতীয় পতাকার রং।’সব শেষে বাহার রহমানের কথার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে বলতে হয়, ‘দেশের প্রতি ভালোবাসা সবাই প্রকাশ করতে চায়। এই প্রেম প্রকাশের ধরন একেক জনের কাছে একেক রকম। শুধু স্মারকে নয়, হৃদয়েও থাকতে হবে স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা। তবে, আমার মনে হয় স্মারক সংগ্রহ করতে করতেই একদিন সেই মানুষটির মনে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জন্মাতে পারে। স্মারকের জায়গায় থাকবে স্মারক। প্রকৃত দেশপ্রেম ফুটে উঠবে ব্যক্তির সারা জীবনের কর্মকাণ্ডে।’
305,053
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫৫
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫৭
দেশের ফুটবল,খেলা
null
ঘুরে দাঁড়াতে চান ফুটবলাররা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/683836
তাজিকিস্তান-বিপর্যয় মাথায় নিয়েই কাল রাতে দেশে ফিরল জাতীয় ফুটবল দল। তীব্র ঠান্ডা আর বৃষ্টিই এই সফরে বাংলাদেশ দলের কাছে শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোচ ফাবিও লোপেজ ও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম আগেই তা বলেছিলেন। শাখাওয়াত রনিরও একই মত, কাল বিমানবন্দরে নেমে এই ফরোয়ার্ড বললেন, ‘আমরা বুঝতে পারিনি ৫ গোল খেয়ে যাব। টার্ফটাও ছিল দ্রুতগতির। ওটার সঙ্গে আমরা আসলে মানিয়ে নিতে পারিনি।’ লোপেজ এই ম্যাচেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। আগের ম্যাচে লেফট উইংয়ে খেলানো শাখাওয়াতকে তাজিকিস্তান ম্যাচে খেলিয়েছেন রাইট উইংয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, কোচ নাকি একাদশ বলেছেন ম্যাচ খেলতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে। শাখাওয়াত বলছিলেন, ‘আমি জানতাম না যে একাদশে থাকব। মাঠে যাওয়ার জন্য হোটেল থেকে বেরোনোর পর কোচ বললেন দলে আছি।’ তবে সব ভুলে খেলোয়াড়দের সামনে তাকানোর কথাই বলেছেন কোচ। খেলোয়াড়েরাও চান অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে নতুন একটা শুরু। শাখাওয়াতের ভাষায়, ‘আমাদের এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ঘরের মাঠে খেলা বলে ভালো করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’ অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাচ্ছে আজই। তাজিকিস্তান-ফেরত দলের সঙ্গে অনুশীলনে ডাকা হয়েছে মিডফিল্ডার মোনায়েম রাজু ও ডিফেন্ডার তপুকে।
174,448
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
economy
অর্থনীতি
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০১
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০১
বাণিজ্য
null
এক লাখ ৩৬ হাজার বাড়িওয়ালা কর দেন না
http://www.prothom-alo.com/economy/article/138676
দেশে এক লাখ ৩৬ হাজার বাড়িওয়ালা সরকারকে কোনো কর দেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন। সিলেটে গত রোববার এনবিআরের ‘তথ্য ও সেবাকেন্দ্র’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, সিলেটসহ সারা দেশে সুন্দর সুন্দর বাড়ি রয়েছে। এ ধরনের বাড়ির সংখ্যা এক লাখ ৩৬ হাজার। কিন্তু ওই সব বাড়িওয়ালা সরকারকে কোনো ট্যাক্স দেন না। তাই কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।সিলেট নগরের কাজীটুলার শফিকুন্নেছা নূর কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়েছে এনবিআরের তথ্য ও সেবাকেন্দ্রটি। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জনগণের মধ্যে আয়করসংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ ও সচেতনতা বৃদ্ধি।সিলেটের কর কমিশনার মাধবচন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআরের সদস্য সৈয়দ মো. আমিনুল করিম ও চৌধুরী আমির হোসেন, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুজ জহির চৌধুরী ও শিক্ষাবিদ কবির চৌধুরী।গোলাম হোসেন জানান, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সিলেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮০ কোটি টাকা।
48,875
-1
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২৬ এপ্রিল ২০১৪, ০২:০৪
২৬ এপ্রিল ২০১৪, ০২:০৫
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর
0
ওপেন এসএসএলের ত্রুটি সারাতে সম্মিলিত উদ্যোগ
http://www.prothom-alo.com/technology/article/201796
সম্প্রতি প্রযুক্তি দুনিয়ায় আলোচিত ওপেন সোর্সভিত্তিক প্রটোকল ‘ওপেন সোর্স ক্রিপটোগ্রাফি লাইব্রেরির (ওপেন এসএসএল)’ ত্রুটির সমাধান করতে একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে শীর্ষ সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ‘হার্টব্লিড’ নামের এ সফটওয়্যার ত্রুটির (বাগ) কারণে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এ আশঙ্কা থেকে রক্ষা পেতে এবং এই ত্রুটির সমাধান করতে এবার লাখ লাখ ডলার খরচ করতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স সাইট আমাজন, নেটওয়ার্ক পণ্য নির্মাতা সিসকো সিস্টেমস, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক, বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল, কম্পিউটার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান আইবিএম, চিপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেল এবং সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। এর সঙ্গে আছে আরও বেশ কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানগুলো একসঙ্গে তিন লাখ ডলার অনুদান দিয়ে একটি উদ্যোগ চালু করেছে।পুরো ত্রুটি সুরক্ষার ক্ষেত্রে অলাভজনক সংস্থা লিনাক্স ফাউন্ডেশন বিশেষ একটি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। এ ব্যাপারে লিনাক্স ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জিম জেমলিন বলেন, ‘সেরা তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন উদ্যোগ মুক্ত সফটওয়্যারের এ সমস্যা সমাধানে যেমন সহায়তা করতে সক্ষম, তেমনি বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামোগত উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে এ বিশেষ অনুদান।’ মূলত এ ত্রুটির মাধ্যমে ওপেন এসএসএল ব্যবহারের করে যেসব মাধ্যমে ওয়েবাসাইট চালিত হয়, সেসব মাধ্যমের তথ্য চুরি করতে পারে সাইবার অপরাধীরা। মোবাইল ফোন, ওয়েবসাইট, সার্ভার, নেটওয়ার্কও হ্যাক হতে পারে এ মাধ্যমে। —টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে নুরুন্নবী চৌধুরী
68,741
সরাইল (ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ জানুয়ারি ২০১৪, ২০:৩৯
১৯ জানুয়ারি ২০১৪, ২০:৩৯
-1
null
বক্তব্য না শুনে দেওয়া সাজা বাতিল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/126811
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাল ভোট প্রদানে সহায়তা দেওয়ার দায়ে সরাইলের উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা বাতিল হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার জেলা দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।আদালত সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম ও সৈয়দ তানভীর হোসেন জেলা দায়রা জজ মো. কাউছার মিয়ার আদালতে উপস্থিত হয়ে শিউলি ও আশরাফের অন্তর্বর্তী জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। আজ শিউলি ও আশরাফের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত সাজা বাতিল করে তাঁদের মামলা থেকে খালাস দেন।প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন চলাকালে দুপুরে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন শিকদার উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে তিন নারী সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে আটক করেন। তাঁরা হলেন কোহিনুর বেগম, জোবেদা বেগম ও নাছিমা বেগম। পরে তাঁদের দেওয়া লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে শিউলি ও আশরাফকে পাঁচ বছর করে এবং তিন নারী সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেন। তবে শিউলি ও আশরাফকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি এবং কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার সময় তাঁদের কোনো বক্তব্যও নেওয়া হয়নি।এ নিয়ে ৭ জানুয়ারি ‘প্রথম আলো’র পাঁচ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘বক্তব্য না শুনেই কারাদণ্ড!’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে সাজাপ্রাপ্ত দুজন ঘটনাস্থলে না থাকা এবং তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ না দিয়েই কারাদণ্ড দেওয়া আইনসম্মত নয় বলে মত দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিষয়টি বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়।উল্লেখ্য, শিউলি আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদের স্ত্রী। তিনি এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে দলের নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধাকে সমর্থন দেন।
44,505
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০৯ মে ২০১৯, ২১:১২
০৯ মে ২০১৯, ২১:১৬
চলচ্চিত্র
null
নভেম্বরে শুটিং
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1593052
শ্যাম বেনেগালের প্রস্তুতি শেষ। চলতি বছর নভেম্বর মাসে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীচিত্রের (বায়োপিক) শুটিং। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২০ সালে, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে।জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত হতে যাচ্ছে তাঁর জীবনীচিত্র। এটি হবে শেখ মুজিবের জীবন নিয়ে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করবেন ভারতের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। বাংলাদেশ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন এই পরিচালক। জানিয়েছেন, ১৮০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর জীবনসংগ্রাম তুলে ধরা হবে বড় পর্দায়। তিনি বলেন, ‘ছবির নেপথ্য গবেষণার কাজে আমাদের চিত্রনাট্যকার অতুল তিওয়ারি আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের পিপলু খান এ কাজে তাঁকে সহায়তা করবেন।’ছবিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে কে অভিনয় করবেন? এ প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো অভিনেতাকেই এ চরিত্রের জন্য নেওয়া হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করবে যে, তাকে খুঁজে বের করা ভীষণ কঠিন।’ পরিচালকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিত্রনাট্য লেখা, চরিত্র নির্বাচন এবং অন্যান্য রসদ জোগাড় হয়ে গেলে ৮০ দিনেই শুটিং শেষ হয়ে যাবে।বঙ্গবন্ধুর জীবনীচিত্র নির্মিত হবে বাংলায়, থাকবে ইংরেজি সাব-টাইটেল। পরে অবশ্য অন্য ভাষাতেও ছবিটি নির্মাণ করা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের সম্প্রীতি ও কূটনৈতিক সুসম্পর্কের কারণেই শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীচিত্র নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে। এই উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। বিশেষ করে যৌথ প্রযোজনার ছবি ও অডিও-ভিজ্যুয়াল অনুষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
401,198
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১৩ মার্চ ২০১৫, ০৯:০১
১৩ মার্চ ২০১৫, ১৬:৫০
ভারত
null
রাহুলের ছুটি নিয়ে কানাঘুষা
http://www.prothom-alo.com/international/article/475825
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর ছুটি বাড়ানো নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে তিন দফায় ছুটি বাড়িয়েছেন তিনি। ছুটি শেষে চলতি মাসের শেষে তাঁর নয়াদিল্লিতে ফেরার কথা।প্রথম দফায় নেওয়া ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার রাহুলের রাজধানীতে ফিরে আসার কথা ছিল। পরে কংগ্রেসের সূত্রে জানানো হয়, চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত তিনি ছুটি বাড়িয়েছেন। তার পরই আবার এই নতুন দফা ছুটি বাড়ানোর খবর জানানো হলো। দল বলেছে, শিগগিরই সভাপতি হিসেবে নতুন জীবন শুরু করার আগে ‘অন্তর্দর্শন’ করার জন্যই তাঁর এই ছুটি নেওয়া।টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়, ছুটিতে থাকায় ভারতের রাজনীতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় যুক্ত হতে পারেননি রাহুল। গতকাল বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকারি আবাসে হেঁটে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের শতাধিক নেতা ও সাংসদ। কয়লা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই বিচারপতির সমন সত্ত্বেও গোটা কংগ্রেস দল যে মনমোহন সিংয়ের পাশে রয়েছে, তা জানাতেই সোনিয়া এই অভিনব পদযাত্রা করেন। কিন্তু কংগ্রেসের অন্যতম সদস্য রাহুল সেখানে যোগ দিতে পারেননি।ছুটিতে থাকায় পার্লামেন্টে ভূমি অধিগ্রহণ বিলের আলোচনাতেও অংশ নিতে পারবেন না রাহুল। গত মাসে যন্তর মন্তরে ভূমি বিলের বিরোধিতা করে যে বিক্ষোভ হয় এতেও অংশ নেননি রাহুল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনেও ছুটির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি ।সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাহুল যখন আবার ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন বিতর্ক চরমে ওঠে। দলের বিভিন্ন সূত্র বলছে, তিনি এই মাসের শেষে ফিরবেন। তবে দলের কয়েকজন সদস্য রাহুলের ফেরার নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানাতে নারাজ।রাহুল কবে ফিরছেন তা নিয়ে কংগ্রেস দলের সদস্যদের নানা মত চলছে। দলের জ্যেষ্ঠ এক সদস্য জানান, অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির অধিবেশন কখন হবে তা রাহুলের ফেরার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে। রাহুলের ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় ওই অধিবেশন নিয়েও এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।তবে এ ব্যাপারে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সারজেওয়ালা বলেন, গুজবকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য তাঁরা গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। রাহুলের ছুটি নেওয়া একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এতে দলের ওপর কোনো প্রভাব পড়ছে না। রাহুলের ছুটি থেকে ফেরার ব্যাপারে যখন নিশ্চিতভাবে তথ্য জানা যাবে, তখন গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে জানানো হবে।
122,608
মোস্তাফিজুর রহমান
education
শিক্ষা
০৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:১৮
০৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:২১
পড়াশোনা
0
বাংলা ২য় পত্র
http://www.prothom-alo.com/education/article/416221
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরপ্রিয় পরীক্ষার্থী, বাংলা ২য় পত্রের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হলো।শব্দের ব্যবহার৫। যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা—‘নারি’ মানে কী?ক. কুিসত মহিলা খ. পারি না গ. মহিলা ঘ. নাড়িমূল৬। ‘কাঁচা ইট পাকা হয়, পোড়ালে তা আগুনে’— এখানে ‘কাঁচা’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহূত হয়েছে?ক. কাল খ. অপরিপক্ব গ. অপরিণত ঘ. অদগ্ধ৭। ‘কাঁচা সোনা’—এর অর্থ কোনটি?ক. ভেজাল স্বর্ণ খ. নিখাদ স্বর্ণগ. খাদযুক্ত স্বর্ণ ঘ. গলিত স্বর্ণ৮। ‘কাঁচা’ শব্দটি কোনটিতে ‘গুরুত্বহীন কথা’ অর্থে ব্যবহূত হয়েছে?ক. কাঁচা কথা খ. কাঁচা বয়সগ. কাঁচা সোনা ঘ. কাঁচা ইট৯। ‘অপরিণত’ অর্থে ‘কাঁচা’ শব্দের ব্যবহার কোনটি?ক. কাঁচা রাস্তা খ. কাঁচা বয়সগ. কাঁচা সোনা ঘ. কাঁচা ইট১০। ‘নিখাদ’ অর্থে কাঁচা শব্দের প্রয়োগ কোনটি?ক. কাঁচা বয়স খ. কাঁচা সোনাগ. কাঁচা ইট ঘ. কাঁচা কথা১১। ‘শ্রীঘর’—শব্দটির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অর্থ কী?ক. সুদৃশ্য গৃহ খ. বৈঠকখানাগ. জেলখানা ঘ. সরাইখানা১২। বাগধারা শব্দের কী অর্থ প্রকাশ করে?ক. বৈশিষ্ট্যময় অর্থ খ. আভিধানিক অর্থগ. অর্থান্তরমূলক অর্থ ঘ. উত্কর্ষমূলক অর্থ১৩। কার্যবিরতি অর্থে নিচের কোনটি প্রযোজ্য?ক. হাত করা খ. হাত গুটানগ. হাত থাকা ঘ. হাত আসা১৪। ‘হাত’ গুটিয়ে বসে আছ কেন—বাক্যে ‘হাত’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহূত হয়েছে?ক. দক্ষতা খ. আয়ত্তে আনাগ. হস্তচ্যুত হওয়া ঘ. কার্যে বিরতি১৫। ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো হাত নেই’—এখানে ‘হাত’ কী অর্থে ব্যবহূত হয়েছে?ক. নৈপুণ্য খ. আয়ত্তে আনা গ. দক্ষতা ঘ. প্রভাব১৬। ‘এ কাজের ফল হাতে হাতে পাবে।’—এখানে ‘হাত’ কোন অর্থ প্রকাশ করেছে?ক. বিলম্বে খ. কাগজে-কলমেগ. অবিলম্বে ঘ. হাতের দ্বারা১৭। কোনটি ‘রোগ’ অর্থে ব্যবহূত হয়েছে?ক. মাথাধরা খ. মাথাব্যথাগ. মাথা খাওয়া ঘ. মাথা ঘামান১৮। ‘আগ্রহ’ বুঝাতে ‘মাথা’ শব্দের ব্যবহার কোনটি?ক. মাথাধরা খ. মাথাব্যথাগ. মাথা খাওয়া ঘ. মাথা ঘমান১৯। দায়িত্ব নেওয়া অর্থে রীতিসিদ্ধ প্রয়োগ কোনটি?ক. ম্যাও ধরা খ. পথ ধরাগ. মনে ধরা ঘ. মাথা দেওয়া২০। ‘মাথা দেওয়া’ বলতে কী বোঝায়?ক. ভাবনা করা খ. শপথ করাগ. দায়িত্ব নেওয়া ঘ. আগ্রহ২১। ‘আশি ও আশী’ সমোচ্চারিত শব্দ দুটির অর্থ কোনটি?ক. সংখ্যাবিশেষ ও আগমন খ. সংখ্যাবিশেষ ও সাপগ. আগমন ও সাপ ঘ. আগমন ও সংখ্যাবিশেষ।বাগধারা১। ‘মন না মতি’—বাগধারাটির অর্থ কী?ক. উপযুক্ত মিলন খ. অনিষ্টে ইষ্টগ. কপটাচারী ঘ. অস্থির মানবমন২। ‘স্থায়ী’ অর্থে ‘পাকা’ শব্দটির ব্যবহার হয়েছে কোনটিতে?ক. পাকা কথা খ. পাকা কাজ গ. পাকা রং ঘ. পাকা রাস্তা৩। ভাষাবিশেষের ঐতিহ্য কী?ক. শব্দ খ. বাক্য গ. মৌলিক শব্দ ঘ. বাগধারা৪। ‘বিধির বিড়ম্বনা’—এর বাগধারা কী?ক. অলক্ষ্মীর দশা খ. অগ্নিপরীক্ষাগ. অদৃষ্টের পরিহাস ঘ. আটকপালিয়া।# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালসঠিক উত্তরটি মিলিয়ে নাওশব্দের ব্যবহার৫. খ ৬. ঘ ৭. খ ৮. ক ৯. গ ১০. খ ১১. গ ১২. ক ১৩. খ ১৪. ঘ ১৫. ঘ ১৬. গ ১৭. ক ১৮. খ ১৯. ঘ ২০. গ ২১. খ।বাগধারা১. ঘ ২. গ ৩. ঘ ৪. গ।শিক্ষকবীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ঢাকা
104,477
-1
international
আন্তর্জাতিক
২০ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৭
২০ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৭
ইউরোপ
0
বিশ্বে ১১৬ বছরে দুর্যোগে ক্ষতি ৭ ট্রিলিয়ন ডলার
http://www.prothom-alo.com/international/article/834622
প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত ১১৬ বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ক্ষতি হয়েছে সাত ট্রিলিয়ন ডলার। আর এসব দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ৮০ লাখ মানুষের। সে হিসাবে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ৬৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে। নতুন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।ক্ষয়ক্ষতির এ হিসাব বের করতে ১৯০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার প্রাকৃতিক দুর্যোগের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। জার্মানির কার্লস্রুহে ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির নেতৃত্বে প্রস্তুত এই প্রতিবেদন ইউরোপীয় জিওসায়েন্সেস ইউনিয়নের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের এই হিসাব পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকে করণীয় নির্ধারণে সহায়তা করবে।প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্যার কারণে। মোট ক্ষতির প্রায় ৪০ শতাংশ হয়েছে বন্যায়। এরপরেই ভূমিকম্পের অবস্থান। এই দুর্যোগে হয়েছে ২৫ শতাংশ ক্ষতি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ঝড়ঝঞ্ঝায় ২০ শতাংশ, খরায় ১২, দাবানলে ২ ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে প্রায় ১ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।তবে একেক দেশের ক্ষেত্রে সিংহভাগ ক্ষতির কারণ হয়েছে একেক দুর্যোগ। যেমন, এই ১১৬ বছরে যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বন্যার কারণে। চিলি আর নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্প এবং মধ্য আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় খরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।চলতি শতকের চেয়ে গত শতকে বিশ্ব প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। আর ক্রমেই বন্যার চেয়ে ঝড়ঝঞ্ঝা ও ভূমিকম্প বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কার্লস্রুহে ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রকৌশলবিদ ও ভূপদার্থবিজ্ঞানী জেমস ড্যানিয়েল বলেছেন, ১৯৬০ সালের পর থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করলে ঝড়ঝঞ্ঝাকেই ক্ষতির সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখা যাবে। প্রায় ৩০ শতাংশ অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধিত হয়েছে এসব ঝড়ের কারণে। আর ভূমিকম্প প্রায় ২৬ শতাংশ ক্ষতি করেছে।শুধু গত বৃহস্পতি ও শনিবারের ভূমিকম্পেই জাপান ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বলেও জানিয়েছেন জেমস ড্যানিয়েল।বিবিসি
222,004
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১৫ মার্চ ২০১৮, ১৫:৩৫
১৫ মার্চ ২০১৮, ১৫:৫৪
ভ্লাদিমির পুতিন,ইউরোপ,রাশিয়া
null
ক্রিমিয়াকে কখনোই ফেরত দিতে হবে না: পুতিন
http://www.prothom-alo.com/international/article/1450581
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যে কারণে ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের কাছে ফেরত দিতে হবে। আর তা কোনো দিনই সম্ভব নয়। লাখো জনতার ভাগ্য আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ রাশিয়ার জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক আন্দ্রেই কান্দ্রাশোভের পরিচালনায় নির্মিত নতুন একটি তথ্যচিত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন এ কথা বলেন।২০১৪ সালের মার্চে এক গণভোটের মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ক্রিমিয়া রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়। ওই ভোটে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে বেশির ভাগ ভোট পড়ে। মস্কো বরাবরই বলে আসছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের গঠনতন্ত্র মেনে নিয়েই রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়া যুক্ত হয়। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপের একীভূত হওয়াকে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে পশ্চিমা জোট। অন্যদিকে, ইউক্রেনের পার্লামেন্ট উপদ্বীপের পদমর্যাদা পরিবর্তনের হুমকি দিচ্ছে।রুশ সাংবাদিক আন্দ্রেই কান্দ্রাশোভ এর আগেও ক্রিমিয়া নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। ২০১৫ সালে তাঁর নির্মিত ‘ক্রিমিয়া-ঘরে ফিরে আসা’ ছবিটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবার নতুন ছবি নিয়ে আবারও তিনি মুখোমুখি হয়েছেন পুতিনের। আন্দ্রেই কান্দ্রাশোভ পুতিনের কাছে জানতে চান, ‘যদি এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে কারণে আপনি ক্রিমিয়া ও সেভাস্তোপোলকে কি ফেরত দেবেন?’ পুতিন বলেন, ‘আপনি খেপেছেন? ওই ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।’ পুতিন বলেন, ‘যেসব ঘটনা ক্রিমিয়াকে মস্কোর সঙ্গে যুক্ত করেছে, মস্কো চাইলে ওই ঘটনায় নিজেকে জড়াতে পারত। তা ছাড়া দ্বীপের লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যাদের ওপর আজ বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।’মস্কো টাইমসের খবরে জানানো হয়, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার ক্রিমিয়া সফর করেন ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রিমিয়ার মানুষ এবারই প্রথমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন। রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার যুক্ত হওয়ার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি। এর আগে রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করতে নির্মাণাধীন সেতু ও সিমফেরোপোল বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ঘুরে দেখেন পুতিন। স্থানীয় লোকজন ওই সেতুকে ‘পুতিন সেতু’ হিসেবে নামকরণ করেছে। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সেতু ইউরোপের দীর্ঘতম সেতু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।
357,991
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৭ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০৮
০৭ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০৯
যুক্তরাষ্ট্র
null
এফবিআইয়ের নিন্দায় হলিউডের মুভি মুঘল
http://www.prothom-alo.com/international/article/1016015
হলিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন জেফরি কাৎজেনবার্গ হিলারি ক্লিনটনের নতুন ই-মেইল তদন্তকে ঘিরে এফবিআইয়ের আচরণের সমালোচনা করেছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এই আচরণকে তিনি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেন।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি জানান, হিলারির আলোচিত নতুন ই-মেইলের মধ্যে অপরাধমূলক কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি। এর আগে তিনি হিলারির নতুন গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল নিয়ে তদন্ত চলছে বলে ঘোষণা দেন।ডিজনি স্টুডিওর সাবেক প্রধান ও ড্রিম ওয়ার্কসের সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফরি কাৎজেনবার্গ হলিউড ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডের লালগালিচায় গতকাল রোববার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে হিলারির নতুন ই-মেইল আবিষ্কারের তথ্য প্রচার করে এফবিআই। নির্বাচনের দুদিন বাকি থাকতেই তারা আবার বলে, ই-মেইলে অপরাধমূলক কিছুই পাওয়া যায়নি। কাৎজেনবার্গ প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এটি কি ভাঁওতাবাজি?’কাৎজেনবার্গ এএফপিকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় হিলারির বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের এ ধরনের আচরণকে অসম্মানজনক বললেও কম বলা হয়। এফবিআইয়ের এই আচরণকে বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, এখন মনে হচ্ছে, আদৌ হিলারির ই-মেইল নিয়ে কোনো কিছু ছিল কি না, এফবিআইকে সে প্রশ্ন করা দরকার।হিলারির নতুন ই-মেইল আবিষ্কার নিয়ে এফবিআই-প্রধান কোমির ঘোষণার পর রিপাবলিকানরা হাতে নতুন অস্ত্র পান। তাঁরা বারবার এ নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালান।ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশনের প্রধান কাৎজেনবার্গ ‘স্রেক’, ‘কুংফু পান্ডা’, ‘মাদাগাস্কার’—এসব অ্যানিমেশন ছবি তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করেন। কাৎজেনবার্গের ৮০ কোটির বেশি ডলারের ব্যক্তিগত সম্পদ রয়েছে।
262,972
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৪৫
২৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:০৭
সখীপুর,ছাত্রলীগ,রাজনীতি,টাঙ্গাইল
0
সখীপুরে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1417666
🌅 ছাত্রলীগের একাংশের ডাকে পৌর শহরে আধাবেলা হরতাল পালন 🌅 সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতটাঙ্গাইলে সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে অবৈধ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী দাবি করে তা বাতিলের দাবিতে পৌর শহরে আজ শুক্রবার আধাবেলা হরতাল পালন করে।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সই করা এক চিঠিতে সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল আটটার দিকে হরতালের সমর্থনে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা সখীপুর মুখতার ফোয়ারা চত্বরে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। হরতাল চলাকালে তাঁরা সখীপুর পৌর শহরে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এ সময় সখীপুর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং শহরে দোকানপাট বন্ধ থাকে।সদ্যঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক সজীব আহমেদ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের স্থগিতাদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রনি আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাময়িকভাবে সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে।আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় আমাদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদকে আহ্বায়ক করে সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের ১০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়কসহ অধিকাংশ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতারা অনুসারী উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবিতে মিছিল করে স্থানীয় সাংসদের অনুসারীরা। পরে হরতালের ডাক দেয়।
352,781
প্রতিনিধি, নাটোর
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ মার্চ ২০১৮, ১০:২২
২৯ মার্চ ২০১৮, ১১:০৬
নাটোর,অপরাধ,রাজশাহী বিভাগ,যুবলীগ,খুন
null
নাটোর শহরে প্রকাশ্যে যুবলীগ কর্মী খুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1458531
নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন চার নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী সাইফুল ইসলাম ওরফে রিপন শেখ (৩৫)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ১৮ মার্চ একই এলাকায় যুবলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ইমরান আলী (৩২) খুন হন। রিপন শেখকে খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।নাটোর পৌর যুবলীগের সভাপতি সাঈম হোসেন জানান, নিহত রিপন শেখ যুবলীগের কর্মী ছিলেন।নাটোর সদর থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিপন শেখ কানাইখালী কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের সিঁড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো চাপাতি দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁর পায়ের রগ কেটে দিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। আশপাশে অনেকে থাকলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে পুলিশ রিপন শেখকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।রিপনের বাবা আবু সাইদ শেখ জানান, ছেলেকে রাজনীতি করতে নিষেধ করতেন, কিন্তু শুনতেন না। এর আগে ইমরান আলী খুন হওয়ার পর তাঁর সমর্থকেরা রিপনকে হুমকি দিচ্ছিল। তিনি এ ব্যাপারে মামলা করবেন।নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মশিউর রহমান জানান, জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
359,296
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২৩:৩১
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২৩:৩৭
-1
0
বিশেষ শিশুদের সঙ্গে লঙ্কান ক্রিকেটাররা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/757114
স্নায়বিক বিকাশ না হওয়া জনিত প্রতিবন্ধিতা যেমন: অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, সিরিয়াল পালসি, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে ঢাকায় আসা শ্রীলঙ্কা দলের ক্রিকেটাররা। আজ সোমবার রাজধানী খিলক্ষেতে লা মেরিডিয়ান হোটেলে এ অনুষ্ঠান হয়।আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও লা মেরিডিয়ান হোটেলের সহায়তায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে প্যারেন্টস ফোরাম ফর ডিফারেন্টলি অ্যাবল (পিএফডিএ) ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার।অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা আইএলও ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা ফ্রান্সিস দ্য সিলভা ও শ্রীলঙ্কান অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার মাধুরাসিঙে। অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কা দলের সব ক্রিকেটার বিশেষ শিশুদের সঙ্গে কেক কাটেন। নাচ গানে অনুষ্ঠানটিকে আনন্দঘন করে তোলেন।অনুষ্ঠানে আইএলওর যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ স্টিভ নেধাম, পিএফডিএর সভাপতি সাজিদা রহমান ড্যানি, লা মেরিডিয়ান হোটেলের মহাব্যবস্থাপক অশ্বিনী নায়ার, শ্রীলঙ্কা দলের কোচ রজার ওইজেসুরিয়া উপস্থিত ছিলেন।পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার প্রতিবন্ধিতার শিকার ১৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য সেবা ও তাদের অধিকার সংরক্ষণের একটি সংগঠন। এসব শিশুর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, তাদের কাজ করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে উপার্জনক্ষম করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে কার্পেট স্লিপার, পুতির গয়না, স্ক্রিন প্রিন্ট, কম্পিউটার ট্রেনিং, কাগজের প্যাকেট, এনভেলপ, ব্যাগ, ব্লক ও টাই-ডাই এর ড্রেস, আর্ট, নাচ, গান, অভিনয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি থেরাপি দেওয়া হয়।
197,504
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
৩০ মে ২০১৬, ১৭:১১
৩০ মে ২০১৬, ১৯:৫২
আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
ইউরোর আগে এক সপ্তাহ বিশ্রাম রোনালদোর
http://www.prothom-alo.com/sports/article/873031
৯০ মিনিটের ম্যাচ, এরপর যোগ করা সময়ের ৩০ মিনিট। এরপর আবার টাইব্রেকারের স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা। আর এরপর শিরোপা জেতার বাঁধভাঙা আনন্দে ভেসে যাওয়া তো আছেই। একটা রাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এর চেয়ে বেশি ধকল যেতে পারত না। ১১ দিন পরেই আবার শুরু ইউরো। আর আগে তো একটু বিশ্রাম তো দরকার। রোনালদোকে তাই এক সপ্তাহ ছুটি দিয়েছেন পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।ইউরোর জন্য দলগুলোর প্রস্তুতি এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। প্রীতি ম্যাচও খেলছে সব দল। পর্তুগালও যেমন কাল প্রস্তুতি ম্যাচে ৩-০ গোলে হারাল নরওয়েকে। কিন্তু রোনালদো তখন ব্যস্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর মাদ্রিদের উৎসবে। আপাতত দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে না রোনালদোকে। পর্তুগাল ও রিয়াল সতীর্থ পেপেও পেয়েছেন এক সপ্তাহের বিশ্রাম। তার মানে সামনের বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে দুজনের কেউই থাকছেন না। ওই ম্যাচে তুর্কি ক্লাব ফেনারবাচের দুই পর্তুগিজ খেলোয়াড় নানি ও ব্রুনো আলভেসও থাকছেন না ওই ম্যাচে। দুজনেই পরশু তুর্কি কাপ ফাইনালে গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে খেলেছেন।ইউরোতে আইসল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে গ্রুপ এফ-এ পড়েছেন রোনালদোরা। ১৪ জুন প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড।
227,352
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:০৩
১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:০৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বিশাল বাংলা,অপরাধ
null
পাঁচ ছাত্রীকে পেটালেন শিক্ষক, দুজন হাসপাতালে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/833860
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পড়া না পারায় পাঁচ ছাত্রীকে পিটিয়েছেন এক শিক্ষক। গতকাল সোমবার উপজেলার কলাকান্দির এইচ কে আসমাতুননেছা উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।শিক্ষকের পিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অষ্টম শ্রেণির তানিয়া আক্তার-১ ও মুক্তা আক্তারকে গতকাল বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়া অপর তিনজন হলো একই শ্রেণির আরিফা আক্তার, তানিয়া আক্তার-২ ও তানজিনা আক্তার।ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল নয়টা থেকে বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় পড়া না পারায় ওই পাঁচ ছাত্রীর প্রত্যেকের দুই হাতে বেত দিয়ে ২০টি করে আঘাত করেন মোহাম্মদ আলী। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে যান অভিভাবকেরা। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বিকেলে তানিয়া-১ ও মুক্তাকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে তাদের পরিবার।এ বিষয়ে গণিত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ ক্লাসে গণিত পড়ানোর সময় পড়া ধরলে কয়েকজন পড়া পারেনি। এ জন্য তাদের বেত দিয়ে কয়েকটি আঘাত করেছিলাম। প্রত্যেকের হাতে ২০টি করে আঘাত করার বিষয়টি সঠিক নয়।’
221,583
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ১৬:৩৩
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ১৬:৫১
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
আইপিএলেও 'চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন'
http://www.prothom-alo.com/sports/article/822928
‘চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন’ গান ও নাচ দিয়ে বিশ্বজয় করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ জনপ্রিয় ডোয়াইন ব্রাভোর এই গান ও নাচ এবার মাতাবে আইপিএলও! অন্তত ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে ‘চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন’ গান ও নাচ। আইপিএলের প্রধান খোদ রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন এ তথ্য।মুম্বাইয়ে আগামীকাল পর্দা উঠছে নবম আইপিএলের। জাঁকজমকে ভরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকবেন বলিউডের অনেক জনপ্রিয় মুখ। তাঁদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেবেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্রাভোও। তবে ক্রিকেটার হিসেবে নয়, ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারকে আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা যাবে গায়ক-নাচিয়ে হিসেবে। রাজীব শুক্লা নিশ্চিত করেছেন, ‘অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন নাচের সঙ্গে থাকবেন ব্রাভো। তাঁকে সঙ্গ দিতে আরও কয়েকজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান খেলোয়াড় থাকবেন বলেও আশা করছি।’সবার মধ্যে একরকম আলোড়নই ফেলে দিয়েছে ‘চ্যাম্পিয়ন ড্যান্স’। ব্রায়ান লারা, উসাইন বোল্ট নেচেছেন এই গানের তালে। বাদ যাননি ক্লাইভ লয়েডও। এমনকি সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা লুই ফিগো একটি পার্টিতে ব্রাভোর সঙ্গে নেচেছেন ‘চ্যাম্পিয়ন ড্যান্স’। সূত্র : আইবিএন লাইভ।
217,869
-1
sports
খেলা
১১ জুন ২০১৬, ০১:৫৬
১১ জুন ২০১৬, ০১:৫৭
খেলা
0
তাঁদেরই মতো
http://www.prothom-alo.com/sports/article/884422
‘আমি অদ্ভুত, আমি রহস্যময়। ভাবছেন আমাকে চেনেন? আপনি আমাকে চেনেন না!’ শুরুটাই বলে দিচ্ছে, সিক্স মেশিন নামক আত্মজীবনীর প্রতিটি পাতায় ক্রিস গেইল নিজেকে বর্ণনা করে গেছেন ‘গেইলীয়’ ধরনে। তাঁর জীবনধরন, দর্শন, উপভোগের মন্ত্র, আপনাতেই অভিভূত হওয়া—কী নেই এতে! তবে মজার ব্যাপার, রেকর্ড গড়ার ধরনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার নিজেকে মিলিয়েছেন দুই ফুটবল তারকা ইব্রাহিমোভিচ ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। ক্রিকেটে সব সংস্করণে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি, টেস্টে দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি পাওয়া চার ব্যাটসম্যানের একজন...গেইলের রেকর্ডের অভাব নেই। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সী ক্রিকেটারের দাবি, ওসব রেকর্ড বিনা চেষ্টাতেই হয়ে গেছে। লিখেছেন, ‘যদি ইব্রাহিমোভিচ ক্রিকেটার হতো, ও এমন কিছুই করত। তবে এই পাগলাটে ব্যাপারগুলোর জন্য কোনো চেষ্টাই করতে হয়নি। আপনা–আপনিই হয়ে গেছে।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
231,090
নোয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৬
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৬
নোয়াখালী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় পাঠদান!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/141271
ছয় মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের সালেহ্পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। তাই পরিত্যক্ত ঘোষিত পুরোনো টিনশেড ভবনের বারান্দায় পাঠদান চলছে শিশুদের।সরেজমিনে দেখা যায়, টিনশেড একটি ভবনের সামনের বারান্দায় চলছে একাধিক শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম। ভবনের পিলারগুলোর ইট-সুরকির ঢালাই খসে পড়ে ভেতরের রড দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি পিলার সংস্কারের পরও ফাটল ধরেছে। ভেতরের ফাঁকা কক্ষগুলোর দেয়ালের অনেক স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ওপরের সিলিং ও টিনের চালাও জরাজীর্ণ।স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৫০ বছর আগে এই আধাপাকা টিনশেড ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে আরেকটি ভবন করা হলেও কক্ষ মাত্র তিনটি। একটিতে শিক্ষকদের অফিস কক্ষ হওয়ায় বাকি দুটি কক্ষ পাঠদানের জন্য। এতে শিক্ষার্থীদের জায়গা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাঠদান করানো হতো পুরোনো টিনশেড ভবনে।সূত্র জানায়, পুরোনো ভবনটি একাধিকবার সংস্কার করা হলেও এখন অবস্থা একেবারেই নাজুক। একে একে চারপাশের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ায় এবং টিনের চালা ও সিলিং ভেঙে পড়ার কারণে ভবনটি ব্যবহার-অনুপযোগী হয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রায় ছয় মাস আগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে লোকজন এসে বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।সালেহ্পুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদ্যালয় ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। শুনেছি পরিত্যক্তও ঘোষণা করা হয়েছে সরকারিভাবে। কিন্তু নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ আদৌ নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আমরা নিজেরাও আতঙ্কের মধ্যে থাকি।’প্রধান শিক্ষক তাজকেরাতুল আবেদা ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সিরাজ উল্লা বলেন, শ্রেণীকক্ষ না থাকায় বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত আধাপাকা ভবনের বারান্দায় পাঠদান করা হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি কাজ হয়নি। এই অবস্থায় পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার কথা নিশ্চিত করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কেশব চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে, চলতি অর্থবছরে নতুন ভবন নির্মাণের সম্ভাবনা কম।
49,595
ফরিদপুর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৭
১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৭
ফরিদপুর,বিশাল বাংলা
0
কার ভুলের মাশুল দেবে তিন পরীক্ষার্থী?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1040413
তিন ছাত্রী ২০১৭ সালে এসএসসি সমমানের দাখিল পরীক্ষা দেবে। তাদের মধ্যে দুজন দুই বছর ধরে বিজ্ঞান ও একজন মানবিক বিষয়ে পড়াশোনা করেছে। কিন্তু তাদের ফরম পূরণ করতে হয়েছে অন্য বিষয়ে। ফলে বিপাকে পড়েছে ওই তিন পরীক্ষার্থী।ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের শোলাকুণ্ডু কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে ওই তিন পরীক্ষার্থীর মধ্যে যে দুজন বিজ্ঞান বিষয়ে পড়েছে তাদের মানবিকে এবং যে মানবিক বিষয়ে পড়েছে তাকে বিজ্ঞান বিষয়ে ফরম পূরণ করতে হয়েছে।কার ভুলে এ সমস্যা হয়েছে, এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড একে অপরকে দুষে বক্তব্য দিয়ে নিজেদের দোষ এড়াতে চাইছে। তবে এ বাদানুবাদে ওই তিন পরীক্ষার্থীর সমস্যার সমাধান মিলছে না। তাদের শঙ্কা তারা অকৃতকার্য হবে।ওই তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে সালথার জয়ঝাপ এলাকার আছিয়া আক্তারকে গত দুই বছর মানবিক বিষয়ে পড়াশোনা করে ফরম পূরণ করতে হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ে। অপর দিকে সদরের কৈজুরির তুঘলদিয়ার সুমাইয়া আক্তার ও শোলাকুণ্ডুর মীম আক্তারকে দুই বছর বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ে ফরম পূরণ করতে হয়েছে মানবিক বিষয়ে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শোলাকুণ্ডু কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদ্রাসা বোর্ডের ভুলের কারণে এ সমস্যা হয়েছে। আমি বোর্ডে এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি, তাঁরা বলেছেন এ ব্যাপারে তাঁদের করণীয় কিছু নেই।’ তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশনের পর বোর্ড থেকে দুই ছাত্রীর নাম পুনরায় চেয়ে পাঠিয়েছিল। সে নাম বসাতে গিয়েই হয়তো গোলমাল করে ফেলেছে বোর্ড।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আওলাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ভুল বোর্ড করেনি। রেজিস্ট্রেশনের সময় ওই মাদ্রাসা এ ভুল করেছে। হয়তো কম্পিউটারের ঘর পূরণের সময় এক ঘরের বদলে অন্য ঘরে টিক দিয়ে দিয়েছে। এখন এ দায় আমাদের ওপর চাপানো যুক্তিসংগত হবে না।’আছিয়া আক্তারের বাবা মো. আতিক বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে কান্নাকাটি করছে। মেয়ে বলেছে, দুই বছর মানবিক বিষয়ে পড়ার পর তার পক্ষে আগামী দেড় মাস বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব না। এভাবে পরীক্ষা দিতে হলে তার ফেল করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ মো. আতিক আরও বলেন, ‘এত দিন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। ফরম পূরণের সময় এ সমস্যা দেখা গেল।’ তিনি প্রশ্ন রাখেন, মাদ্রাসা ও বোর্ডের ভুলের বলি শিক্ষার্থীরা হবে কেন?
274,759
আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:০৯
২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:১০
রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
দখলে নিতে ফেলা হচ্ছে মাটি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1064809
এবার রাজশাহী নগরের লালনশাহ পার্কের দখল নিতে ভেতরে মাটি ফেলা হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে মাটি ফেলে জায়গা দখলে নেওয়ার কাজ চললেও বিষয়টি সিটি করপোরেশন জানেই না। এর আগে পার্কের ভেতর গরু-ছাগল রাখার জায়গা করা হয়েছে। এরপর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বেড়া দেওয়া হয়। কিন্তু বেড়া দিয়েও রক্ষা হচ্ছে না।রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের সময় নগরের পাঠানপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর ধারে পরিত্যক্ত জায়গাটিতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন লালনশাহ পার্কটি তৈরি করা হয়। করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সে সময় এই পার্কে ১ হাজার ১৩২ বর্গমিটার আয়তনের ১টি ওপেন থিয়েটার, ১টি ফুডকোর্ট, ৮২ দশমিক ৮১ বর্গমিটারের ২টি কফিশপ এবং ২ হাজার ৫৫৮ দশমিক ৮৫ বর্গমিটারের ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়। ফুডকোর্টের ভেতরে তিন দিকে তিনটি ঘর করা হয়েছে।২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক আনুষ্ঠানিকভাবে এই পার্কের উদ্বোধন করেন। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় পার্কটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হওয়ার জোগাড়। কফিশপের দুই পাশে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ছোট ছোট যে চৌবাচ্চা করা হয়েছে, তার পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।গত শুক্রবার বিকেলে লালনশাহ পার্কে গিয়ে দেখা যায়, বেড়া দেওয়া পার্কের ভেতরে যে যার মতো গরু-ছাগল পালনের জায়গা তৈরি করেছেন। এটি আগেও কমবেশি ছিল। কিন্তু এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মাটি ফেলে জায়গা ভরাট করা। পাঠানপাড়া মহল্লার ভেতর থেকে সারি ধরে শ্রমিকেরা ডালিভর্তি মাটি নিয়ে পার্কের ভেতরে ঢুকছেন। পার্কের বেড়াঘেঁষে একটি ঘর বানোনোর মতো উঁচু করে মাটি ফেলা হচ্ছে। পাশের একটি গোলচত্বরেও মাটি ফেলা হয়েছে। অথচ এটি দামি টাইলস দিয়ে সুন্দর করে বাঁধানো ছিল। এর পাশে মাটি ফেলে গাঁদা ফুলের কয়েকটি গাছও রোপণ করা হয়েছে। পাঠানপাড়ার এক নারী বসে থেকে মাটি ফেলার কাজ দেখছিলেন। কেন এই মাটি ফেলা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাড়ার ছেলেরা বসার জন্য একটা ক্লাবঘর করছেন। জায়গাটা সুন্দর করবেন। তাঁরাই ফুলের গাছ লাগাচ্ছেন।ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, দুজন লোক কোদাল দিয়ে মাটি টেনে সমান করছেন। কারা ঘর করছেন, জানতে চাইলে দুজনই বলেন, তাঁরাই বসার জন্য একটি জায়গা তৈরি করছেন। সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে, তাঁরা বলেন, বসার জায়গা করছেন। এর জন্য কী আর অনুমতি নিতে হবে!পূর্ব দিকে ওয়াকওয়ের পাশের জায়গা ইচ্ছামতো গবাদিপশু পালনের কাজে ব্যবহার করছেন স্থানীয় লোকজন। সেখানে গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হচ্ছে। গরু-ছাগল রাখার জন্য ঘরও করা হয়েছে।রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, লালনশাহ পার্কের ভেতরে মাটি ফেলার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেউ পার্কের ভেতরে কোনো ঘর করতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় রয়েছে। এ জন্যই তাঁরা ইজারা দিতে চেয়েছিলেন। এবার ইজারা দেওয়া হবে।
285,703
-1
entertainment
বিনোদন
১৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:৫৫
১৩ আগস্ট ২০১৬, ০২:৪২
সংস্কৃতি
0
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে একক মূকাভিনয় প্রদর্শনী
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/944323
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার মিলনায়তনে মীর লোকমানের একক মূকাভিনয় ‘সার্কেল’-এর প্রথম প্রদর্শনী ছিল গতকাল সন্ধ্যায়। বিকেল থেকেই দর্শক সমাগম শুরু হয়। ‘পৃথিবী: সৃষ্টির প্রারম্ভে’ উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রদর্শনী। না-বলা কথাগুলো না বলেই যেন বলে গেলেন মীর লোকমান। মোট আটটি বিষয় নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘সার্কেল’ প্রযোজনাটি, যেখানে স্বার্থকেন্দ্রিক চলমান দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় উত্তেজনা ও বর্তমান সংকটকে শৈল্পিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আক্তারুজ্জামান।
249,441
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
economy
অর্থনীতি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৫০
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৫২
বাণিজ্য
0
পুরোনোরাই চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্বে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/453712
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) নেতৃত্বে আবারও পুরোনোরাই নির্বাচিত হয়েছেন। এতে মাহবুবুল আলম সভাপতি, নুরুন নেওয়াজ সেলিম জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সৈয়দ জামাল আহমেদ সহসভাপতি নির্বাচিত হন।নবনির্বাচিত পরিচালকদের এক সভায় গতকাল সোমবার তাঁদের সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়। তাঁরা ২০১৫-১৬ সাল মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন। আগের ২০১৩-১৪ মেয়াদেও নেতৃত্বে ছিলেন তাঁরা। সভায় চেম্বারের পরিচালক ও সাংসদ দিদারুল আলম সভাপতিত্ব করেন।এর আগে চেম্বারের ২৪ জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৬ জন পুনর্নির্বাচিত হন। বাকি আটজন নতুন। নির্বাচন বোর্ড গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত পরিচালকদের নাম ঘোষণা করে।নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম চেম্বার মিলনায়তনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতে তিনটি নির্বাচনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। এবার তা হয়নি। সুখে-দুঃখে যাঁরা কাছে ছিলেন, তাঁদের আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’টানা অবরোধ ও হরতালে উদ্বেগ প্রকাশ করে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। ব্যবসায়ী হিসেবে আমাদের একটাই কথা, দেশের অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি।’নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ফৌজুল মবিন খান প্রথম আলোকে বলেন, চেম্বারের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত। নতুন পর্ষদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবে ৩১ মার্চ।
116,192
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৭
০৫ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৯
রাজধানী (জাতীয়),ঢাকা বিভাগ,রাজনীতি
0
নির্বাচনী তামাশা ধামাচাপা দিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/820327
বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিজিটাল ডাকাতি, কলেজছাত্রী তনু হত্যা ও ইউনিয়ন পরিষদে তামাশার নির্বাচনকে ধামাচাপা দিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে দলের নেতারা এ অভিযোগ তোলেন।সারা দেশে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সমাবেশ হয়। ঢাকা মহানগর বিএনপি এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। বিভিন্ন জেলায় বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিলেও কয়েকটি জেলায় মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া নাশকতাসহ পাঁচটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে আজ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া। সমাবেশে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়া-আসার রাস্তায় নেতা-কর্মীদের থাকতে বলেছেন।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তামাশার নির্বাচনকে ধামাচাপা দিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির উল্লেখ করে বলেন, ‘এতে আমরা বিভ্রান্ত হব না, জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।’খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার যেমন গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, ইউনিয়ন পরিষদেও তেমনি নির্বাচন করছে। দেশ-বিদেশের সবাই বলছে, এটি তামাশার নির্বাচন হচ্ছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির লক্ষ্য জিয়া পরিবার ও জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধ্বংস করা। কারণ, তারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ভয় পায়।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। যদি কোনো কারণে নেত্রীকে কারাগারে নেওয়া হয়, আমরা সবাই গণগ্রেপ্তারে যাব এবং আমি এর প্রথমে থাকব।’সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হলো ভোট ডাকাতি, ব্যাংক ডাকাতি, মানুষের পকেটের টাকা ডাকাতি। বাড়িতে ডাকাত পড়লে তাড়ানোর প্রথম দায়িত্ব বাড়িওয়ালার। জনগণ ঘুমিয়ে থাকলে ডাকাত আসবেই। তাই ডাকাতদের উৎখাত করে দেশকে বাঁচানো জনগণের নৈতিক দায়িত্ব।সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা সেলিমা রহমান, ফজলুল হক, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শিরীন সুলতানা প্রমুখ।সারা দেশে বিক্ষোভ: বরিশাল: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পুলিশি বাধায় করতে পারেনি জেলা (দক্ষিণ) ও মহানগর বিএনপি। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল বের করতে চাইলে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে তাঁদের আটেক দেয় পুলিশ।এর আগে বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ওরফে শাহিন।বিকেল পাঁচটায় অশ্বিনী কুমার হল-সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জেলা (উত্তর) বিএনপি। তাদেরও মিছিল করতে দেয়নি পুলিশ। সমাবেশে জেলা (উত্তর) বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মেজবাহউদ্দিন ফরহাদের সভাপতিত্বে সমাবেশ হয়।সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে জেলা বিএনপি। শহরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের কালীবাড়ি পয়েন্ট এলাকায় এলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আ ত ম মিছবাহ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুক আলম প্রমুখ।
217,336
খুলনা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৬
০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০৮:৪৯
খুলনা,খুলনা বিভাগ,খবর
null
পূজার ফুলে রক্তের দাগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1050409
ফুল ভালোবাসতেন শিপ্রা কুণ্ডু। তা ছাড়া পূজার জন্যও প্রতিদিন ফুল লাগত তাঁর। ফুল কিনতে যেতেন খুলনা নগরের শীতলাবাড়ী মন্দিরের পাশে। গতকালও গিয়েছিলেন। কিন্তু ফুল নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না। আওয়ামী লীগ নেতা জেড এ মাহমুদকে ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বিঁধল তাঁর গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু। পূজার ফুলে লাগল রক্তের ছোপ।শিপ্রা কুণ্ডুর স্বামী চিত্তরঞ্জন কুণ্ডু বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) খুলনা শাখার উপমহাব্যবস্থাপক। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক পরিবারটি। চিত্তরঞ্জন বারবার বিড়বিড় করে বলছিলেন, ‘এখন আমার কী হবে? আমরা তো কোনো রাজনীতি করি না। তাহলে আমার স্ত্রীকে এভাবে মরতে হলো কেন? এ বিচার আমি কার কাছে দেব?’ চিত্তরঞ্জন জানান, স্ত্রী শিপ্রা তাঁকে সকালের নাশতা করিয়ে বের হন ফুল কিনতে। ছুটির দিন বলে তিনি এরপর হাঁটতে বের হন। নগরের শহীদ হাদিস পার্কের সামনে আসার পর হঠাৎ ফোনে এই দুঃসংবাদ।
279,172
খুলনা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:১৭
১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:১৮
খুলনা,বিশাল বাংলা
0
মতবিনিময়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1038023
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের খুলনা মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের আওতায় সব অঞ্চলপ্রধান, করপোরেট শাখাপ্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকদের নিয়ে এক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার খুলনা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটির খুলনার মহাব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরদার নূরুল আমিন। তিনি সেবার মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীতকরণের জন্য সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং একই সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তাসহ শাখার সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরামর্শ দেন।
273,306
খুলনা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫২
২৬ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫৩
খুলনা,খুলনা বিভাগ,মহানগর
0
শিক্ষার গুণগত মান এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/694762
দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষার গুণগত মান এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ জন্য শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। গতকাল বুধবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে আচার্য হিসেবে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। সমাবর্তনে আড়াই হাজার গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া একজনকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ১৪ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।ভারতের নোবেল বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থীর ‘শিক্ষায় বিনিয়োগের রিটার্ন নয় গুণ’ উক্তিটি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ রিটার্ন অর্জন সম্ভব। পাঠদানের মধ্যে শিক্ষকের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ না রেখে শিক্ষার্থীদের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক যখন তাঁর মহান আদর্শ থেকে দূরে চলে যান, তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার ওপর সবিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গবেষণার ফল যাতে লাইব্রেরিতে বন্দী না থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে লাগে, তা নিশ্চিত করতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘খুলনা অঞ্চলে রয়েছে জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবন ও সামুদ্রিক সম্পদসমৃদ্ধ বিশাল উপকূল। আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এ জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় মূল্যবান সম্পদ বিষয়ে গবেষণা জোরদারের আহ্বান জানাই।’ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার আহ্বান জানিয়ে নবীন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ ও সমাজ তোমাদের এ পর্যায়ে এনেছে। তোমাদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা দিয়ে দেশের কল্যাণ করতে পারলে সেই ঋণ শোধ হবে।বেলা তিনটায় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সমাবর্তনের কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস সাজানো হয়। বেলা সাড়ে তিনটায় রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান থেকে বের হলেও উচ্চশিক্ষা লাভ অনেক সময় হয়ে ওঠে না। শিক্ষার একটি স্তরে বৃত্তিমুখী শিক্ষা চালু করতে পারলে উচ্চশিক্ষার ওপর অহেতুক চাপ কমত। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদানের ক্ষেত্র নয়, নতুন জ্ঞান সৃষ্টিই তার বড় কাজ। তাই গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকতে হবে, গবেষণার ফল প্রকাশ করতে হবে, সবাই দেখবে আমরা নতুন কী করলাম।’ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘সমাজ যদি জ্ঞানভিত্তিক না হয়, তার অগ্রগতি থেমে যেতে বাধ্য। জ্ঞানের অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত মুক্তবুদ্ধির চর্চা করা, সব বিষয়ে প্রশ্ন করা। বাংলাদেশে আজ যে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, তা মুক্তবুদ্ধি চর্চার অনুকূল নয়। এই অবস্থা আমাদের মধ্যযুগীয় অন্ধকারের দিকে টানবে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে।’ অনুষ্ঠানে উপাচার্যের ভাষণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফায়েক উজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো বিভাগ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাঠ গবেষণার জন্য কোনো জায়গা পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ২০০ একরের বেশি জমি, সেখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি মাত্র ১০৫ দশমিক ৭৫ একর। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ ও মাঠ গবেষণার জন্য আরও কমপক্ষে ৫০ একর জমি দরকার। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বিশেষ অতিথির ভাষণে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কানাডা, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণার ধারা অব্যাহত রাখতে ইউজিসির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে।রাষ্ট্রপতি ভাষণ শেষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বছরব্যাপী ‘রজতজয়ন্তী’ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। হল উদ্বোধন: সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’-এর উদ্বোধনফলক উন্মোচন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
177,942
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:৪৮
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:৩২
রাজনীতি
null
খালেদা জেল না খাটার ভয়ে বিদেশে: শেখ সেলিম
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/684310
খালেদা জিয়া বিদেশ থেকে আসতে না চাইলেও তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেছেন, শেষ বয়সে জেল না খাটার ভয়ে খালেদা জিয়া বিদেশে পালিয়ে গেছেন। নূর হোসেনের মতো খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকেও ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দেন তিনি।আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেট মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের র‍্যালি পূর্ব সমাবেশে শেখ সেলিম এসব কথা বলেন। যুবলীগের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ র‍্যালি পূর্ব সমাবেশের আয়োজন করা হয়।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া মনে করেছেন, বাংলাদেশে আসবেন না। আপনাকে আনা হবে। পেট্রলবোমা দিয়ে ২০০ লোককে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। এ জন্য বাংলার মাটিতে বিচার হবে। লন্ডন থেকে এনে বিচার করা হবে। আপনারা দেখেছেন, ইতিমধ্যে তাঁর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হচ্ছে। শেষ বয়সে আর আর জেল খাটতে চান না, তাই তাড়াতাড়ি পালিয়ে গেছেন। সন্ত্রাসীদের স্থান বিদেশেও হবে না। আমরা একে একে সব সন্ত্রাসীদের ধরে আনব।নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের অন্যতম আসামি নূর হোসেনের মতো খালেদা জিয়া এবং তাঁর ছেলেকেও ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত শেখ সেলিম। খালেদাকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ওইখানে (লন্ডনে) বসে আবার ষড়যন্ত্র আরম্ভ করেছেন। কী ষড়যন্ত্র? বিদেশিদের হত্যার ষড়যন্ত্র। তিনি হয়তো ভাবছেন, দেশে বসে তো কিছুই করতে পারলাম না। তাহলে যদি বিদেশি মারা যায়, তাহলে বিদেশিরা আমাদের পক্ষে আসবে। তখন শেখ হাসিনাকে তারা চাপ দেবে, ক্ষমতা ছেড়ে একটা ইলেকশন দাও।দেশে আইএস বলে কিছু নেই দাবি করে শেখ সেলিম বলেন, হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি, বিএনপি-জামায়াত সব একই। আর এর নেত্রী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। এখানে আইএসের প্রধান হলো খালেদা জিয়া। আর কোনো আইএস নাই। আল কায়েদার প্রধান হলো খালেদা জিয়া। বোমা মেরে, বিদেশি হত্যা করে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো যাবে না।বিএনপির সঙ্গে আলোচনা বসার বিষয়ে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ সেলিম বলেন, ‘কীসের আলোচনা, কার সঙ্গে আলোচনা। সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও যারা মানুষ হত্যা করে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয় না। আজকে যারা ফ্রান্সে মানুষ হত্যা করেছে, ফ্রান্স কী তাদের সঙ্গে আলোচনায় করছে?যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ।সমাবেশ শেষে ফার্মগেট থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের দিকে র‍্যালি শুরু করে যুবলীগ। দুটি হাতি, ঢোল-তবলা নিয়ে রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তেজগাঁও থানা এলাকা থেকে যুবলীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেয়। এ সময় ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মিরপুর রোড এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
174,306
প্রতিনিধি, টেকনাফ, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মার্চ ২০১৯, ১৩:২৮
০৭ মার্চ ২০১৯, ১১:২০
আবহাওয়া,কক্সবাজার,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,টেকনাফ,সেন্টমার্টিন,পর্যটন,বিআইডব্লিউটিএ
null
বৈরী আবহাওয়ায় সেন্ট মার্টিনে ৩০০০ পর্যটক আটকা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1582156
বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে আজ বুধবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে যাওয়া তিন হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। আজ যাঁদের সেন্ট মার্টিন যাওয়ার কথা ছিল, তাঁরা অনেকেই কক্সবাজারের দিকে চলে যাচ্ছেন।কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বজ্রমেঘের ঘনঘটার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আজ বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত কক্সবাজারের ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদী উত্তাল। এ অবস্থায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বিপজ্জনক। তাই মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও এ সতর্কসংকেত বলবৎ থাকতে পারে।গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে পর্যটক জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, দ্য আটলান্টিক ক্রুজ ও এলসিটি কাজলে করে আড়াই হাজারের মতো পর্যটক সেন্ট মার্টিন বেড়াতে যান। সেখানে রাত্রিযাপন করতে প্রায় দেড় হাজারের পর্যটক থেকে যান। এর আগের দিন যাওয়া আরও দেড় হাজারের মতো পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছিলেন।এদিকে, আজ বুধবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকেরা এসে ভিড় করছিল টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে। তবে এ নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁরা কক্সবাজারের দিকে চলে যাচ্ছেন।পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম ও এলসিটি কাজলের ব্যবস্থাপক মনির আহমদ বলেন, সতর্কসংকেতের কারণে আজ কোনো জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে যেতে পারেনি। ফলে, গত সোম ও মঙ্গলবার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আটকা পড়েছেন পর্যটকেরা। সংকেত কেটে গেলে টেকনাফ থেকে জাহাজ গিয়ে তাঁদের ফেরত আনা হবে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সতর্কসংকেত অমান্য করে পর্যটক পরিবহন করলে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এ নৌপথে জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, দ্য আটলান্টিক ক্রুজ ও এলসিটি কাজল চলাচল করছে। রুট পারমিট না থাকায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রীন লাইন-১ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এমভি ফারহান ক্রুজের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় বে-ক্রুজ নামে আরও একটি জাহাজ বন্ধ রয়েছে।সেন্ট মার্টিনে থাকা পর্যটকদের মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ার হামিদুর রহমান নামে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইনের ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাত তিনটা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয় এবং আজ সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তাই অধিকাংশ পর্যটক হোটেল-মোটেল ও কটেজে আটকা পড়ে আছেন। সাগরও প্রচণ্ড উত্তাল। তাই স্থানীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারও ছেড়ে যেতে দিচ্ছেন না।সী ফাইন রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী আবদুর রহিম বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়ার সতর্কবার্তার কারণে সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ নৌপথে পর্যটক জাহাজ ও সার্ভিস ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিনে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল-কটেজে প্রায় তিন হাজারের মতো শিশু, নারী ও পুরুষ আটকা পড়েছেন।সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সেকান্দর আলী বলেন, আটকে পড়া পর্যটকেরা দ্বীপের ১০৬টি হোটেল-মোটেল ও কটেজে অবস্থান করছেন। সংকেতের কারণে সাগর উত্তাল থাকয় জাহাজ চলাচল আজও বন্ধ রয়েছে।টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান বলেন, যাঁরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আছেন, তাঁদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে এবং ভাটার সময় কোনো পর্যটক যাতে সাগরে না নামেন, সে ব্যাপারে প্রচার চালাতে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
392,831
অনলাইন ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩১ মে ২০১৬, ২০:২১
৩১ মে ২০১৬, ২২:২০
দুর্ঘটনা
null
বজ্রপাতে প্রাণ গেল আরও ছয়জনের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/874138
বজ্রপাতে আজ মঙ্গলবার তিন জেলায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীতে মা-বাবা ও শিশুপুত্র, পিরোজপুরে এক গৃহবধূ ও এক কিশোর এবং সাতক্ষীরায় একজন নারী মারা যান। গতকাল সোমবার তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়। এর আগে ১২ ও ১৩ মে ২৬টি জেলায় নারী, শিশুসহ ৮১ জন বজ্রপাতে মারা যান। পরপর দুদিনে বজ্রপাতে এত প্রাণহানির ঘটনা নজিরবিহীন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, দুপুরে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের বাড়ি থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছায়দুল হক মোটরসাইকেলে করে পাশের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁরা মুছাপুর এলাকায় গেলে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় ছায়দুল হক তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মুছাপুরের একটি বাড়ির গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তাঁদের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ফজলে রাব্বী জানান, নিহত তিনজন হলেন ছায়দুল হক (২৮), তাঁর স্ত্রী লাইজু আক্তার (২৪) ও তাঁদের শিশুপুত্র মো. ইমন (২)। তিনি বলেন, মরদেহগুলো ছায়দুলের শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, দুপুরের দিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোটমাছুয়া গ্রামে সুমি আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূ ও বেতমোর গ্রামে খায়রুল ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সুমি আক্তার ছোট মাছুয়া গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের স্ত্রী। আর খায়রুল ইসলাম উপজেলার বেতমোর গ্রামে মনির হোসেনের শরীফের ছেলে।তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমি বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন জানান, দুপুরে খায়রুল ইসলাম বাড়ির সামনের ধানখেতে জমে থাকা পানিতে মাছ ধরতে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে খায়রুল ঘটনাস্থলে মারা যায়।সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে আকিলা খাতুন (৫৫) নামের এক নারী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আজম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
227,635
-1
opinion
মতামত
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৪:৫৪
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৪:৫৫
সম্পাদকীয়:
0
রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1398001
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চুক্তি অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রত্যাবাসনের প্রথম তালিকা, প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মাঠপর্যায়ে চুক্তির খসড়া তৈরি—এসব অগ্রগতির কথা পররাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে সংশয়-সন্দেহ কিছুতেই কাটছে না এবং এর যৌক্তিক কারণও রয়েছে। আমরা দেখছি, একদিকে যখন এই প্রত্যাবাসন প্রস্তুতি চলছে, তখনো মিয়ানমার থেকে শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসছে। এই পরিস্থিতিতে শরণার্থী প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কতটুকু?‍চুক্তি অনুযায়ী যে শরণার্থীরা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চাইবে, তাদেরই ফেরত পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু যে মাত্রার বর্বরতা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা তখনই স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চাইবে যখন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও গ্যারান্টি থাকবে। চুক্তিতে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠীর রোহিঙ্গা নীতিতে যে কোনো পরিবর্তন হয়েছে তার প্রমাণ দেশটি রাখতে পারেনি। বিশ্ব সম্প্রদায় যাকে গণহত্যা বলছে, মিয়ানমার সরকার তাকে সাধারণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বলেও স্বীকার করছে না, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার তো দূরের কথা।এক লাখ শরণার্থীর প্রথম প্রত্যাবাসন তালিকা বা শরণার্থীরা কোন দিক দিয়ে মিয়ানমারে ঢুকবে, চুক্তি বাস্তবায়নের এসব খুঁটিনাটি দিকের অগ্রগতি নিয়ে তাই চূড়ান্ত বিচারে খুব আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশের জন্য বিপদ হচ্ছে শরণার্থীরা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে না চাইলে তাদের জোর করে ফেরত পাঠানোর সুযোগ নেই। মিয়ানমার গণহত্যা চালিয়ে সেই ভীতি তৈরি করেছে এবং তা এখনো অব্যাহত আছে বলেই এখনো শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসছে।শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে চায় বলেই বাংলাদেশ চুক্তি করেছে। এবং এটা ঠিক যে কোনো সমস্যা দ্বিপক্ষীয়ভাবে মিটিয়ে ফেলতে পারলে সবচেয়ে ভালো। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে এই চুক্তি রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার চেয়ে মিয়ানমারের স্বার্থের পক্ষেই যাচ্ছে। কৌশল হিসেবে এই চুক্তিটি মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয়েছে। দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ যে হারে বাড়ছিল, তখন এই চুক্তি তা অনেকটাই শিথিল করে দিয়েছে। চুক্তিতে শরণার্থী প্রত্যাবাসনের কোনো সময়সীমা না থাকায় নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা মিয়ানমারের জন্য সহজ হবে। এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংস্থার মাধ্যমেই তা করতে হবে।আমরা মনে করি, প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়ের বিষয়টি সরকারকে জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফেরানো না গেলে তৃতীয় কোনো দেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আনতে হবে। শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালন করেছে, কিন্তু একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় এই চাপ নেওয়ার ক্ষমতাও বাংলাদেশের নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বাস্তবতা বুঝতে হবে এবং বাংলাদেশকেও উদ্যোগী হয়ে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।
349,829
বিশাল বাংলা ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ আগস্ট ২০১৭, ০০:১৩
০২ আগস্ট ২০১৭, ০০:১৪
অপরাধ
0
অপহরণের পর ব্যবসায়ীকে হত্যা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1274001
যশোরে অপহরণের পর এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় মনিরামপুর উপজেলার মুক্তেশ্বরী নদী থেকে তাঁর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ এক কিশোর অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে।এদিকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় উপজেলায় এক তরুণের লাঠির আঘাতে মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণের মানসিক সমস্যা রয়েছে।প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:নিহত ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৫২) যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে। গ্রামের আমতলা বাজারে তাঁর একটি মুদি দোকান রয়েছে। ১৪ জুলাই বিকেলে ওই দোকান থেকে তাঁকে কৌশলে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ২৭ জুলাই বঅভয়নগর থানায় অপহরণ মামলা করা হয়। এতে আসামি করা হয় মনিরামপুর উপজেলার লাউকুণ্ডা গ্রামের মোস্তাক হোসেন, তাঁর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম, গাবখালী গ্রামের সহোদর মো. তসির ও মো. নাসির; আলী হাফেজ ও ইসরাইল হোসেনকে। ২৯ জুলাই সাতক্ষীরার মুকন্দপুর গ্রাম থেকে আঞ্জুয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নজরুল ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সম্প্রতি নজরুলের বাড়িতে টাইলসের কাজ করতে যান মোস্তাক। মোস্তাক তাঁকে পুনরায় বিয়ে করার পরামর্শ দেন। মেয়ে দেখার নাম করে ১৪ জুলাই বিকেলে মোস্তাক ও নজরুল মোটরসাইকেলে করে মনিরামপুরের লাউকুণ্ডা গ্রামে যান। এ সময় মোস্তাক ও তাঁর সহযোগীরা নজরুলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল কেড়ে নেন। আরও টাকা আদায় করার জন্য নজরুলকে আটকে রাখেন তাঁরা। পরে মোস্তাক ও তাঁর সহযোগীরা গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে নজরুলকে হত্যা করেন। তাঁরা গাবখালী শ্মশানঘাট-সংলগ্ন মুক্তেশ্বরী নদীতে লাশটি পুঁতে রাখেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে নজরুলের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকাররম হোসেন বলেন, সাত-আট দিন আগে নজরুলকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।ঝালকাঠিতে নিহত রাশিদা মল্লিক (৫০) কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আউড়া গ্রামের প্রয়াত শাজাহান মল্লিকের স্ত্রী। গতকাল দুপুরে নিজ বাড়িতে ছেলে বাদশা মল্লিকের (২৪) লাঠির আঘাতে রাশিদা নিহত হন।রাশিদা মল্লিকের চাচাতো ভাই নান্টু খান বলেন, রাশিদা বাড়িতে রান্না করছিলেন। হঠাৎ বাদশা ঘরের ভেতরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলে রাশিদার মৃত্যু হয়। পরে প্রতিবেশীরা ঘরে লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বাদশা পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। পাঁচ বছর আগে তাঁর মানসিক সমস্যা দেখা দিলে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে বাড়িতে আনা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।কাঁঠালিয়া থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার বলেন, বাদশাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।বাউফলে নিহত অটোরিকশাচালক মো. পারভেজ (১৪) উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামের মো. দুলালের ছেলে।গতকাল সকাল সাতটার দিকে নাজিরপুর ইউনিয়নের বড়ডালিমা গ্রামের আবু দফাদারবাড়ির পশ্চিম পাশ এলাকার সড়কের পাশে পারভেজের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশা ছিনতাই করতে গলায় ফাঁস দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
330,296
-1
opinion
মতামত
১১ মার্চ ২০১৫, ০০:০২
১১ মার্চ ২০১৫, ০০:০২
সম্পাদকীয়:,মতামত
null
শাবাশ বাংলাদেশ!
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/473209
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় এক জয়ের প্রতিচ্ছবি এখন বাংলাদেশের পতাকায়, বাংলাদেশের মানুষের গর্বিত মুখে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কথা রেখেছেন: বাংলাদেশ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বীরত্বের সঙ্গে। এই বিজয়ে জাতীয় জীবনের রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনাও যেন খানিকটা কাটল। শাবাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।ক্রিকেটের জনক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজাত ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি করল ইতিহাস। বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হলো। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্যক্তিগত শতরান এল এই ম্যাচে। ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে বাংলাদেশ আগে পরাস্ত করলেও এবারের বিজয়ে প্রতিফলিত হয়েছে আত্মবিশ্বাস ও সংকল্প। মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং, মাশরাফির চৌকস নেতৃত্ব এবং সংকটের কিনারে দাঁড়িয়েও নির্ভুল নিশানা করা রুবেলের সংকল্প প্রমাণ করেছে, এই বিজয়ে ভাগ্যের চেয়ে বেশি অবদান ছিল যোগ্যতা ও চেষ্টার।ক্রিকেটের পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত কয়েকটি দেশ চায়, বাংলাদেশের মতো দেশকে যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে বিশ্বকাপ আসরে আসতে হবে। সেই বড়াই গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ তার মর্যাদার প্রমাণ রাখল। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেতা দেশগুলোকে ধরাশায়ী করা বাংলাদেশকে হালকাভাবে নেওয়ার দিন আর নেই। কাতরানো আর পথ হাতড়ানোর দশা পেরিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন দারুণ সাহসী। তবে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে বিতর্ক, পক্ষপাত ও শিথিলতা কাটাতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে।খেলা শুধুই খেলা নয়; একটি দেশের সক্ষমতার চেহারাও খেলোয়াড়দের মরণপণ লড়াইয়ে প্রতিফলিত হয়। বাঙালির সুপ্ত শক্তির এমন উন্মেষ আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। তারই স্বীকৃতি মিলছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি সমীহ জাগানো প্রতিবেদনে। পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের মনেও ভালোবাসা ও গর্ব জাগাতে পেরেছে মাশরাফির দল।অজস্র মৃত্যু ও সহিংসতায়ও যে জাতি এক হতে পারেনি, বিজয়ের উদ্যাপনে তারা এক এবং উদ্বেলিত। আন্দোলনরত বিরোধী জোট গতকাল মঙ্গলবারের হরতাল শিথিল করেছে বিজয়ের সম্মানে। তৃষিত জাতির তৃষ্ণা মিটিয়ে পরের বিজয়ের প্রস্তুতি চলুক। ক্রিকেট ঘিরে তৈরি ঐক্যের সংকল্প রাজনীতিতেও ছড়িয়ে পড়ুক।
122,249
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ নভেম্বর ২০১৩, ১৫:৪৪
২২ নভেম্বর ২০১৩, ১৭:০৪
-1
null
বিএনপির অধিকাংশ নেতাই নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যাকুল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/79930
‘খালেদা জিয়া যদি নির্বাচন বর্জনই করতে চান, তাহালে তাঁকে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক নেতাদের বোঝাতে হবে, নির্বাচনে অংশ না নিলেই তাঁদের স্বার্থ রক্ষা হবে। অন্যথায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এসব নেতার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বেন তিনি। এতে দলে ভাঙন তৈরি হবে এবং একই সঙ্গে জানুয়ারির নির্বাচনকে বৈধতাও দেওয়া হবে।’গত বুধবার দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।সাময়িকীর অনলাইন সংস্করণের ব্লগ ব্যানিয়ানের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপির অধিকাংশ নেতাই নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যাকুল। এসব নেতাকে বুঝিয়ে দলে ধরে রাখাই বিএনপির প্রধানের চ্যালেঞ্জ। ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।‘বাংলাদেশি পলিটিক্স: ট্রেঞ্চ ওয়ারফেয়ার’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ধসে পড়ছে। তবে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে তাদের ক্ষমতায় থাকা আরও কিছুটা দীর্ঘায়িত হতে পারে।অর্থপাচার মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের খালাস পাওয়ায় দুই নেত্রীর মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা কিছুটা শিথিল হতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকারে সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগ কয়েকটি ছোট মিত্রদলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই সরকার সাংবিধানিক হলেও তার জনপ্রিয়তা খুব কম বলে উল্লেখ করে ইকোনমিস্ট। নির্বাচনকালীন এই সরকার মূলত বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারেরই ছোট্ট সংস্করণ বলেও ইকোনমিস্ট মনে করে।মতামত জরিপের কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পাঁচ ভাগের চার ভাগ মানুষ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সাময়িকীটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনী সহিংসতার হুমকি বিএনপির জন্য সহায়ক হতে পারে। আর কম ভোটারের উপস্থিতি আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। পরিস্থিতি অনুকূলে গেলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলেও মনে করে ইকোনমিস্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।তবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও রাজনীতিবিদদের মধ্যবর্তী রেখা ভয়াবহ রকমের অস্পষ্ট।যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার আইনজীবী এবং তদন্ত দলের প্রধান আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে তাঁদের সরাসরি অংশ নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে।
29,817
আব্দুল কাইয়ুম
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৫ এপ্রিল ২০১৪, ০০:১০
০৫ এপ্রিল ২০১৪, ০০:১০
ছুটির দিনে
null
বরফে রাখা মাছ কতটা ভালো?
http://www.prothom-alo.com/technology/article/184735
বিক্রেতারা গর্ব করে মাছ দেখিয়ে বলেন, একদম টাটকা, বরফ ছাড়া! কিন্তু বরফে রাখলে কি মাছ টাটকা থাকে না? আসলে বরফ দেওয়া মাছই বেশি ভালো, যদি ঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়। অবশ্য মাছ ধরার সঙ্গে সঙ্গেই বরফে রাখতে হবে। প্রথমেই মাছ (+২) ডিগ্রি থেকে (-২) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখতে হবে। সাধারণত নদীর পাড়ে বরফে রাখলেই চলে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ঠান্ডায় মাছ রাখতে হয়। অন্তত (-২) থেকে (-৭) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখা দরকার। তৃতীয় পর্যায়ে (-২৩) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় হিমাগারে রাখলে দীর্ঘদিন অবিকল টাটকা মাছের মতোই থাকে। মাছের শরীরের কোষে পানির অংশ বেশি। খুব ঠান্ডায় কোষের পানি জমে যায়, ফলে ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীব বাঁচতে পারে না। মাছের কোষগুলোর কাঠামো অটুট থাকে। এ কারণেই মাছের স্বাদ নষ্ট হয় না। কিন্তু মাছ ধরার পর বরফে না রাখলে অণুজীবের বংশবিস্তার ঘটে এবং ধীরে ধীরে কোষগুলো ভেঙে নরম হয়ে পচন ধরে। বরফ দেওয়া মাছ এক অর্থে ভালো। তবে যথাযথভাবে হিমায়িত না করা হলে টাটকা মাছের স্বাদ আর থাকে না।
63,655
খুলনা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ মার্চ ২০১৬, ০১:১৫
১৩ মার্চ ২০১৬, ০১:১৬
খুলনা,খুলনা বিভাগ,মহানগর
0
কটকা ট্র্যাজেডি দিবস আজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/797026
এক যুগ আগে সুন্দরবনের কটকায় সমুদ্রে ডুবে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে আজ রোববার দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ২০০৪ সালের ১৩ মার্চ ওই দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের নয়জন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যা লি প্রভৃতি।
210,389
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জুলাই ২০১৫, ০২:২৯
০৮ জুলাই ২০১৫, ০২:৩০
কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,রাজনীতি
0
অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মামলায় নাজুক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/572641
কক্সবাজারকে বলা হয় বিএনপির ঘাঁটি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এখানকার চারটি সংসদীয় আসনের বেশির ভাগই ছিল দলটির দখলে। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও মামলায় দলটি সাংগঠনিকভাবে নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছে।তবে দলটির বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান দাবি করেন, মামলা ও পুলিশের হয়রানি সত্ত্বেও কক্সবাজারে বিএনপি এখনো অনেক শক্তিশালী। তিনি বলেন, বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে তাঁদের দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন। কয়েক শ আছেন কারাগারে।দলীয় সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত বিরোধী জোটের টানা ৬৭ দিনের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় কক্সবাজারে মামলা হয় ১৫টি। এসব মামলায় বিএনপির দুই হাজার নেতা-কর্মীসহ আরও কয়েক হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪১৮ জন নেতা-কর্মী।সম্প্রতি জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একধরনের সমঝোতা হলেও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কোন্দল রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দলের একাধিক সূত্র। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৯ সালের ২০ নভেম্বর। ওই সম্মেলনে সভাপতি পদে সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আইনজীবী শামীম আরার (স্বপ্না) নাম ঘোষণা করা হয়। শামীম আরার নাম ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় হইচই। এরপর তা সংঘর্ষ ও ভাঙচুরে রূপ নেয় এবং সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। এরপর বিএনপির একটি অংশ শাহজাহান চৌধুরীকে সভাপতি ও শামীম আরাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি ঘোষণা দেয়। আরেকটি অংশ কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাংসদ লুৎফর রহমানকে (কাজল) সভাপতি এবং কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সাংসদ আলমগীর ফরিদকে সাধারণ সম্পাদক করে পাল্টা কমিটির ঘোষণা দেয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন, একাধিক দফা সংঘর্ষে জড়ায়। পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। ২০০৯ সালে পাল্টাপাল্টি যে দুটি কমিটি হয়েছে, তার মেয়াদও শেষ হয়েছে আড়াই বছর আগে। এরপর আর সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ জন্য উভয় অংশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহ্মদকে দায়ী করেন। তাঁরা বলেন, শাহজাহান চৌধুরীকে সভাপতি ও লুৎফর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করলে অনেক আগেই বিরোধ মিটে যেত। কিন্তু সালাহ উদ্দিন কিছুতেই লুৎফর রহমানকে মেনে নিতে পারেননি। আবার লুৎফর রহমান বাদ দিতেও পারেননি। কারণ, জেলা সদরে নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগ অংশ তাঁর সঙ্গে আছে। ৫ জানুয়ারির পর শুরু হওয়া আন্দোলনে এখানে দলীয় সব কর্মসূচি পালিত হয়েছে লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে।কক্সবাজার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও তৃণমূলের চাপে পড়ে কোন্দল নিরসনে জেলা বিএনপির দুই অংশের নেতারা গত বছরের ২১ মে একসঙ্গে বসেন। এরপর ৩১ মে সালাহ উদ্দিন আহ্মদ ও লুৎফর রহমান বৈঠক করে একটা সমঝোতায় আসেন। তখন বলা হয়েছিল, জেলার আট উপজেলার ৭৪টি ইউনিয়নে সম্মেলন শেষ করে ২০১৫ সালের এপ্রিলে জেলা সম্মেলন করা হবে। কিন্তু তার আগে গত ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহ উদ্দিন আহ্মদ ‘অপহৃত’ হওয়ার সব পরিকল্পনা পাল্টে যায়। এরপর সালাহ উদ্দিনকে অপহরণের প্রতিবাদে বিএনপির দুই অংশ ঐক্যবদ্ধভাবে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে। জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের কোন্দল মিটিয়ে আমরা এক হয়েছি। গত উপজেলা নির্বাচনে আটটি উপজেলার মধ্যে চারটিতে বিএনপির প্রার্থী জিতেছেন। এখন দলীয় কোন্দল নিরসনের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে দলকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে।’
151,151
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৭
২০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৮
গৌরনদী,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
আট দিনেও সন্ধান মেলেনি প্রণবের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/103600
নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পরও বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই গ্রামের প্রণব বাড়ৈ (১৫) নামের এক প্রতিবন্ধী কিশোরের সন্ধান মেলেনি।জানা গেছে, উপজেলার বাকাই গ্রামের প্রমানন্দ বাড়ৈর বড় ছেলে প্রণব বাড়ৈ একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ৬ ডিসেম্বর বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রণব যশোরের বেনাপোলে এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ১১ ডিসেম্বর তার কাকা রামানন্দ বাড়ৈ গৌরনদী থানায় একটি জিডি করেন। প্রণবের খোঁজ পেলে ০১৭১৩০৬৭৬১৪ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
37,154
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৪
১৫ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৬
নাটোর,বিশাল বাংলা,রাজশাহী বিভাগ
0
গুরুদাসপুরে দরিদ্রের চাল ধনীর ঘরে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1000213
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য দেওয়া সরকারের ১০ টাকা কেজি দরের চাল পেয়েছেন বিত্তশালী ব্যক্তিরা। চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু নিজের পক্ষের লোকজনকে সন্তুষ্ট করতে চাল দেওয়ার জন্য বানানো হতদরিদ্রদের তালিকায় বিত্তশালীদের নামও রেখেছেন। ইউনিয়নে ২ হাজার ৩০৫টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানার বিরুদ্ধে চালের কার্ড বিতরণে পক্ষপাত ও অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও খাদ্য কর্মকর্তা বরাবর গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নের নয় ব্যক্তি এতে সাক্ষর করেন।গুরুদাসপুরের ইউএনও ইয়াসমিন আক্তার অভিযোগের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযোগকারীদের অন্যতম আনছার আলী মোল্লা, আবদুর রশিদ ও মোজাম্মেল হক বলেন, হতদরিদ্র লোকজনকে ১০ টাকা কেজি দরের চাল না দিয়ে যাঁদের পাকা বাড়ি, জমি, পুকুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, তাঁদের দেওয়া হয়েছে। এসব বিত্তশালী ব্যক্তির অনেকেই কার্ডে পাওয়া চাল মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন। আবার কেউ নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য দরিদ্র লোককে চাল দিয়ে দিয়েছেন।ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অনুসন্ধান চালিয়ে অভিযোগকারীরা ১০ টাকা কেজি দরের চালের জন্য কার্ড পাওয়া ১২০ জনের একটি তালিকা করেছেন। ওই তালিকায় বিত্তশালী ব্যক্তি রয়েছেন ৬৫ জন। এ ছাড়া কার্ড দেওয়া হয়েছে একই পরিবারের সাতজনকে, দুটি করে কার্ড পেয়েছেন সাতজন, ছয়টি পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দুজনই এবং এক পরিবারের বাবা, ছেলে ও মেয়ে তিনজনই কার্ড পেয়েছেন।প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ইউনিয়নের চন্দ্রপুর (মাঝপাড়া) গ্রামের বিশু মিয়া (তালিকার ৪০৫ নম্বর সদস্য) বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, সাদা রঙের পাকা বাড়ি। তাঁর ছেলে মনজু বলেন, তাঁদের ৮-১০ বিঘা জমি রয়েছে। সংসারে অভাব নেই। চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট করায় একটি কার্ড দেওয়া হয়েছে।তালিকার ৫৭০ নম্বর সদস্য রাশিদুল ইসলাম। তাঁর বাবার নাম আ. রাজ্জাক। চন্দ্রপুর বীর বাজারে তাঁদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নতুন পাকা বাড়িরও তৈরি হচ্ছে। রাশিদুলের বাবা বলেন, তাঁর ছেলে একজন প্রকৌশলী, ঢাকায় থাকেন। আরেক ছেলে চাকরি করেন। তবে হতদরিদ্রদের কার্ড পাওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এই তালিকায় তাঁর নাম থাকায় তিনি লজ্জিত।তালিকায় নাম থাকা আরও অন্তত সাত ব্যক্তির কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। তবে ভোটের সময় তাঁরা চেয়ারম্যানকে নানাভাবে সহায়তা করেছেন। তাই চেয়ারম্যান ভালোবেসে তাঁদের ওই ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড দিয়েছেন। পরে লোক দিয়ে তাঁরা সেই চাল তুলেছেন।এদিকে চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভুল করে হয়তো দু-একটা কার্ড অবস্থাসম্পন্ন কেউ পেতে পারেন। কিন্তু এ চালের কার্ড হতদরিদ্র ব্যক্তিদেরই দেওয়া হয়েছে। এলাকায় তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর নামে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে উল্টো অভিযোগ করেন তিনি।
256,083
সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন
life-style
জীবনযাপন
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৩৭
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪২
নকশা,পরামর্শ
null
বিদায় মেদভুঁড়ি!
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/618658
ওজন তেমন বেশি না, দেখলে কেউ মোটা বলবে না। কিন্তু নিজে তো জানেন, ঢোলা পোশাকের নিচেই রয়েছে মেদভুঁড়ি। নানা নকশার পোশাকে কত বুদ্ধি করে আড়াল করে রাখতে হয় তা। ছবি তোলার সময় শ্বাস ভেতরে টেনে পেট টান টান রাখার কী আপ্রাণ চেষ্টা। তাঁদের জন্য এই প্রতিবেদন। পেটের মেদ কমানোর নানা পরামর্শ জেনে নিন। যাঁরা একটু অবসর সময় পান তাঁদের জন্য জিমনেশিয়াম বা ব্যায়ামাগারে যাওয়া সহজ। কিন্তু যাঁরা ব্যস্ততায় থাকেন তাঁরা সেই সময়টা সহজে বের করতে পারেন না। তবে তাঁরা ঘরে বসেই অল্প সময়ে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। আর সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে খাবার-দাবারের দিকটাও।পরিমিত খাবারের পরিমিত পুষ্টি গ্রহণ করলেই মেদ-চর্বিহীন স্বাস্থ্য পাওয়া সম্ভব। এতে ভুঁড়িও বাড়বে না বলে জানালেন বারডেমের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার। তিনি বললেন, মোটামুটি চারটি কারণে পেট বড় হয় বা ভুঁড়ি বাড়ে।বাইরের খাবার বেশি খাওয়া বিশেষ করে মেয়োনিজ, মার্জারিনযুক্ত ফাস্টফুড মেদ বাড়ায়। এসব খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে, অল্প করে খেলেও তা দেহের জন্য বাড়তি হয়ে যেতে পারে।বাড়ির খাবারও পরিমিতভাবে না খেলে পেটে মেদ জমতে পারে। খেতে হবে পরিমাণমতো। উচ্চতা, ওজন ও বয়স অনুযায়ী যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু। ভাতও যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় তবে সেই উদ্বৃত্তটুকু মেদে পরিণত হয়।বসা কাজে ভুঁড়ি বাড়ে। অর্থাৎ অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে (যেমন, অফিসে কম্পিউটারের সামনে বসে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে) তলপেট দ্রুতই বাড়ে।খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেলে দেহে চর্বি জমে।মেদ কমাতে কী করা চাই তা-ও জানালেন তিনি* বাইরের যেকোনো ধরনের খাবার যেমন, ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিংকস বা উচ্চ মাত্রায় ক্যালরি বা প্রোটিন আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।* বাসায় রান্না করুন কম তেলে। খেতে পারবেন মাছ ও শাকসবজি। মাংস খাবেন পরিমাণমতো। খাবার খেতে হবে সময়মতো। না খেয়ে থাকলে বা অনিয়মিত খেলে পেটে গ্যাস জমে। কিন্তু অল্প পরিমাণে খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় না। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।* দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে না থেকে অন্তত এক ঘণ্টা পর পর ৫-১০ মিনিট হেঁটে নিন।* খাবার খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করুন। তারপর চাইলে ঘুমাতে পারেন। দুপুরে খাবার পর বিশ্রামের জন্য ৩০ মিনিটের ঘুমই যথেষ্ট।ভুঁড়ি কমাতে চাইলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যায়ামও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামের জন্য আধা ঘণ্টা সময় বের করে নিলেই চলবে। আর সেটাও বাড়িতে বসেই করতে পারবেন। এমনিতে যাঁদের ওজন খুব বেশি নয়, তাঁরা বাড়িতে নিয়মিত ব্যায়াম করলেই ফল পাবেন। অ্যাডোনাইজ ফিটনেস সেন্টারের প্রশিক্ষক অন্তরা হোসেন ঘরে বসে করার জন্য সহজ কিছু ব্যায়ামের নিয়ম বলে দিলেন।ক্রানচসোজা হয়ে শুয়ে দুই হাত মাথার নিচে রাখুন। থুতনি হালকা উঁচু করে রাখুন। এবার দুই পা উঠিয়ে ভাঁজ করুন। পায়ের গোড়ালি মাটি ছুঁবে না। দুই পায়ের মাঝখানে ফাঁকা রাখুন। এবার কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ যতটুকু ওঠানো সম্ভব, একবার উঠিয়ে নিন, আবার শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১৫ বার ওঠানামা করুন। এমন করে তিন সেট অর্থাৎ তিনবার করুন। এই ব্যায়াম পেটের ওপরের অংশের জন্য। •অ্যাবস ক্রানচসোজা হয়ে শুয়ে নিন দুই হাত মাথার নিচে রাখুন। দুই পা একসঙ্গে জোড়া করে ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত ওপরে উঠান। এবার কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ যতটুকু সম্ভব ওপর-নিচ করুন। এভাবে ১৫ বার ওঠানামা করুন। এটিও তিন সেট করুন। এই ব্যায়াম পেটের মাঝের অংশের জন্য।লোয়ার অ্যাবসসোজা হয়ে শুয়ে দুই হাত নিতম্বের নিচে রাখুন। দুই পা একসঙ্গে জোড়া করে পা দুটো ৩০ থেকে ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত ২০ বার ওঠানামা করুন। এটিও তিন সেট করুন। এই ব্যায়ামটিও তলপেটের জন্য। তিনটি ব্যায়াম একই সময়ে পরপর করে নিলে সুফল পাওয়া যাবে। মাঝে একটু বিশ্রাম নিয়েও করতে পারেন।নারী-পুরুষ যে কেউ করতে পারেন এই ব্যায়াম। তবে অন্তরা বললেন, প্রতিদিন এই ব্যায়াম না করে এক দিন পর পর করে সপ্তাহে তিন দিন করলেই হবে। মাংসপেশি স্বাভাবিক রাখতেই কিছু সময় বিরতি দিয়ে শরীরচর্চা করতে হয়।
164,947
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:১২
৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:১৬
রাজধানী (জাতীয়)
0
তৃণমূলে আইনি সহায়তা পেতে সচেতনতা বাড়াতে হবে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1071109
তৃণমূলের জনগণ অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। আইনি সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে নেই পর্যাপ্ত তথ্য। বিচারপ্রক্রিয়ায় বিচারকস্বল্পতা, দীর্ঘসূত্রতাসহ নানান সমস্যায় জনগণ বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। সব মিলে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে বিচারপ্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনার পাশাপাশি জনগণকে যথাযথ তথ্য দিয়ে সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই।গতকাল সোমবার প্রথম আলো আয়োজিত ‘তৃণমূলে ন্যায়বিচার লাভের জন্য আইনি ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচকেরা এসব কথা বলেন।বেসরকারি সংগঠন ব্রতী সমাজকল্যাণ সংস্থার সহায়তায় কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।বৈঠকে আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর বলেন, গ্রামে কিছু ‘টাউট’ শ্রেণির জন্ম হয়েছে। তারা মূলত ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে কঠিন অপরাধ যোগ করে সবাইকে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যায়। এনজিওগুলো গ্রাম্য সালিসব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। গ্রাম্য আদালতে চেয়ারম্যান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তিনি যেহেতু দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচিত, তাই সেখানে অন্য বিচারক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর বলেন, সরকারের বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় প্রতি জেলায় অফিস আছে। অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমে টাকার কোনো অভাব নেই। এনজিওগুলো এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, আইন কমিশনের পক্ষ থেকে বিচারপ্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা কমানোর জন্য ২৮টি সুপারিশ করেছে। তবে সরকার এ ব্যাপারে তেমন কোনো সাড়া দেয়নি। আর বাংলাদেশে ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষের বিপরীতে বিচারক আছেন ১ জন। ২৬ লাখ মামলার বিচার করবেন ১ হাজার ৩০০ বিচারক—এটা কল্পনা করা যায়?ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চনার প্রধান কারণ ‘ন্যায়’ শব্দটিকেই নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। জনগণ অজনগণে রূপান্তরিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিসের অধিকার, কিসের ন্যায়বিচার—সবকিছুই অবান্তর হয়ে যায়। আর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া অন্য কোনো ক্ষমতায়নই সম্ভব নয়।এনজিও কার্যক্রম প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, এনজিওগুলোর উচিত নতুন নতুন পথ উদ্ভাবন না করে মাদারীপুর মডেলের যদি কোনো দুর্বলতা থাকে তা নিয়ে কাজ করা।গোলটেবিল বৈঠকে ব্রতীর আইনি সেবা প্রকল্প ‘প্রোটেক্টিং দ্য ভালনারেবল থ্রো কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসেস প্রজেক্ট’-এর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার ৪টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং ১৪০টি গ্রামে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে দুই বছর ধরে। এ প্রকল্পে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সহজে ও যথাসময়ে স্থানীয় বিচারব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রথাগত বিচারব্যবস্থা সংরক্ষণ, তৃণমূল পর্যায়ে আইনি ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।বৈঠকে ব্রতীর প্রকল্প সমন্বয়কারী শশাঙ্ক বরণ রায় বলেন, ব্রতী পরিচালিত আইনি সেবা প্রকল্পটিতে ১৪০টি গ্রামে তরুণদের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ১ হাজার ৪০০ জন। ২৮টি ইউনিয়নে প্রতি মাসে লিগ্যাল এইড ক্লিনিক পরিচালনা করা হচ্ছে। ১০৫টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় বা যে কাঠামোর মাধ্যমে আইনি সেবা দেওয়া হয়, তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছায় না। সচেতনতা তৈরি করে জনগণকে আইনি সেবা পেতে আগ্রহী করে তোলার জন্যই ব্রতী কাজ করছে। সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো প্রাথমিক বা মৌলিক আইন শিক্ষার বিষয়টিতেও সরকারকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, প্রকল্প শুরু হয়, দাতাগোষ্ঠীর ‘অবজেকটিভ’ পরিবর্তন হয়ে যায়। আর্থিক সহায়তায় পরিবর্তন আসে। মই দিয়ে ছাদে ওঠার পর মইটা সরিয়ে ফেলার মতো অবস্থা হয়। তাই সরকারের আইনি সহায়তাসংক্রান্ত কার্যক্রম ও প্রকল্পকে তৃণমূলে পৌঁছাতে হবে। বিরোধ মীমাংসার জন্য আরবিট্রেশন কাউন্সিলকে কার্যকর করতে হবে।রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস, বাংলাদেশের (রিইব) নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন, জনগণ আইনি সেবা পেতে চায়। সে ধরনের অবস্থা তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে আইনি কাঠামোকেও শক্তিশালী করতে হবে। রিইবের কাজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন, অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সরকারের তথ্য অধিকার আইনকে কাজে লাগানো হচ্ছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, গ্রামের সালিসে ভুক্তভোগী নারীকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। এসব জায়গায় জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের পরিবর্তে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ‘চ্যাংরা’ ছেলেরা ঢুকে পড়েছে। ফলে মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, কারখানা থেকে বের হওয়ার মতো একটার পর একটা আইন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আইনটি যাঁরা বাস্তবায়ন করবেন, তাঁরাই আইনগুলো সম্পর্কে অবগত নন। আদালতের বাইরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের সুযোগ আছে—এ ধরনের বিষয়গুলোও জনগণকে জানাতে হবে। নওগাঁর নিয়ামতপুরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য এবং ব্রতীর স্বেচ্ছাসেবক দলের উপদেষ্টা নকুল রবিদাস জানালেন, ব্রতীর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে মানুষ সচেতন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এসব কাজ করতে গিয়ে আমারও জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। এর আগে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরেছিলাম, এইবার বিপুল ভোটে জিতেছি। আমার এলাকাকে এখন নেশা ও বাল্যবিবাহমুক্ত করতে পেরেছি।’ ব্রতীর স্বেচ্ছাসেবক রিপন সরকার একজন গণগবেষক। তিনি বলেন, আগে এলাকার মানুষ আইন বলতেই ভয় পেত। ভাবত, আইন মানেই টাকাপয়সা, পুলিশ, আদালত। এখন এ ভয়টা কেটে গেছে।কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসেসের ডেপুটি টিম লিডার ফাতেমা রশিদ হাসান বললেন, ২৯টি এনজিওর মাধ্যমে ১২ হাজার ইউনিয়নে কাজ করছে কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসেস। মানুষকে সচেতন করা, পরামর্শ দেওয়া, সালিসের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা এবং জনগণের আইনি ব্যবস্থায় প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসেসের টিম লিডার জেরোম সায়রে বলেন, সরকারের পক্ষে যে কাজগুলো করা সম্ভব হচ্ছে না, সেসব জায়গায় এনজিওগুলো কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সাফল্যও এসেছে।ব্রতীর প্যানেল আইনজীবী মাহমুদ হাসান বললেন, ব্রতীর প্রকল্পে লিগ্যাল এইড ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণকে বিভিন্ন আইন সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। কেউ মামলা করতে চাইলে তাতে আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
288,724
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:১৮
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:১৯
বলিউড
0
জানুয়ারিতে ঋষি কাপুরের ‘খুল্লাম খুল্লা’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1050045
‘খুল্লাম খুল্লা পেয়ার কারেঙ্গে হাম দোনো’ গানটির কথা মনে আছে? তাতে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন সেই সময়কার সুপারস্টার ঋষি কাপুর। সে কথা ১৯৭৫ সালের। আসছে ২০১৭ সাল। বছরের প্রথম দিকেই সেই গানের অংশ ‘খুল্লাম খুল্লা’ নামেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ঋষি কাপুরের জীবনীভিত্তিক বই। অভিনেতা বলেন, বইয়ে তিনি তাঁর জীবনের সব কথাগুলো মন দিয়ে বলেছেন। তিনি টুইট করেও তাঁর বইয়ের কথা জানান। টুইটে দেখা যায় তাঁর ছবি দিয়ে বইটির প্রচ্ছদ করা হয়েছে। ক্যাপশনে লিখেছেন, আমার ‘অটোবায়োগ্রাফি ঋষি কাপুর আনসেন্সরড! “খুল্লাম খুল্লা” ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এখানে দেখা যাবে তাঁর বিগত যাপিত জীবন ও সময়গুলো। বইটি লিখতে সহায়তা করেছেন মীনা আইয়ার। পারিবারিক ভাবেই তাঁরা বিগত ৮৫ বছর ধরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত। তিনি ১৯৮০ সালের দিকে বলিউড কাঁপিয়েছিলেন ‘চকলেট হিরো’ ও ‘লাভার বয়’ নামে। ‘ববি’, ‘খেল খেল মে’, ‘কর্জ’ ইত্যাদি ছবি এবং সবশেষ ‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’ সিনেমা দিয়ে পর্দা কাঁপিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
278,815
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, গোয়া থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২০:৪৪
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২০:৫৮
সরকার
null
ব্রিকস-বিমসটেক মেলবন্ধনে শেখ হাসিনার তিন প্রস্তাব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1001263
উঠতি অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরীয় আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের সদস্যদেশগুলোর মেলবন্ধনে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত এই দুই সংগঠনের ‘আউটরিচ’ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যাবতীয় টেকসই উন্নয়নের প্রচেষ্টা নির্ভর করছে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর। সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশে আমরা শূন্য সহনশীলতার (জিরো টলারেন্স) নীতি গ্রহণ করেছি।’ব্রিকসের সদস্যদেশগুলো (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর (ভারত, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান) তুলনায় অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই উন্নত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ব্রিকসের মেলবন্ধন ঘটানো গেলে অর্থনীতির পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রও বিস্তার লাভ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব দেন।শেখ হাসিনার প্রথম প্রস্তাব উন্নতমানের অবকাঠামো নির্মাণে যত্নবান হওয়া। দ্বিতীয়টি হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তার মধ্য দিয়ে উদ্ভাবনী ক্ষমতার বিকাশ। আর তৃতীয় প্রস্তাবে বলেছেন, ব্রিকস ও বিমসটেক অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরস্পরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে করে আর্থিক দিক থেকে কম উন্নত দেশগুলো অগ্রগতির সোপানে আসতে পারবে। তিন প্রস্তাবের পাশাপাশি তাঁর সাবধানবাণী—সব প্রচেষ্টাই বিফলে যাবে, যদি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ না করা যায়।
256,199
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
০৩ জুলাই ২০১৫, ০০:৪১
০৩ জুলাই ২০১৫, ০০:৪১
শেয়ারবাজার,বাণিজ্য
0
শেয়ারবাজারে ঈদের ছুটি ১৫-২০ জুলাই
http://www.prothom-alo.com/economy/article/568213
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৫ থেকে ২০ জুলাই দেশের পুঁজিবাজারে ছুটি থাকবে। এ সময়ে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম ও লেনদেন বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটি শেষে ২১ জুলাই থেকে যথারীতি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম ও লেনদেন শুরু হবে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের অফিস সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলবে। আর লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।পবিত্র রমজান উপলক্ষে বর্তমানে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে।
149,997
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৭
০২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৭
-1
0
পালিয়ে রক্ষা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/728398
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। বরপক্ষের লোকজন চলে আসেন। পুলিশ আসছে টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত বলেন, ওই বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ না দিতে ছাত্রীর অভিভাবকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবার বিয়ের আয়োজন করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।
188,681
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৫
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ
0
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/711697
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় গতকাল রোববার দুপুরে অস্ত্র, গুলিসহ মোহাম্মদ পলাশ (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব-৫। পলাশের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে র্যা ব-৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বেলা দেড়টার দিকে ভোলাহাট উপজেলার কাশিয়াবাড়ি এলাকা থেকে একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, সাতটি গুলিসহ পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
183,336
বাসস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ জুলাই ২০১৬, ১৯:১০
২৮ জুলাই ২০১৬, ১৯:১৭
-1
0
অনলাইনে যুক্তরাজ্যের নতুন ভিসা ফরম
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/928399
যুক্তরাজ্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করার জন্য বাংলাদেশে অনলাইনে আবেদন ফরমের নতুন ভার্সন চালু করেছে।ব্রিটিশ হাইকমিশন আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশে ভিসা প্রার্থীরা যুক্তরাজ্য সফরে যেতে এখন নতুন অনলাইন ফরমে সহজে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।‘অ্যাকসেস ইউকে’ শিরোনামে নতুন ফরমে যৌক্তিক কিছু প্রশ্ন, মোবাইলবান্ধব ফরম্যাট এবং সহজলব্ধ ডাউনলোডসহ একটি ছোট ফরমসহ গ্রাহকদের বেশ কিছু সুবিধা দিয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রাহকদের আবেদনের জন্য আবেদন ফরমটি বাংলায় করার প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৪ সালের জুন মাসে চীনে ‘অ্যাকসেস ইউকে’ চালু করে সফলতা পাওয়ার পর এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি চালু করা হচ্ছে।ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য ব্রিটেন উন্মুক্ত এবং আমরা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণে উৎসাহিত করছি। তিনি বলেন, ভিসা আবেদনকারী বাংলাদেশিরা এখন খুব সহজেই নতুন ভিসা ফরম পাবেন এবং সহজে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।www.gov.uk/apply-uk-visa.gc  ঠিকানায় ‘অ্যাকসেস ইউকে’ ভিসা ফরম পাওয়া যাবে।
244,026
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
৩০ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:৪৩
৩০ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:৪৫
বলিউড
0
নায়িকাদের জন্যও চরিত্র লেখা হোক
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1031019
বুড়িয়ে গেলেও দিব্যি নায়ক হিসেবে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতের দুই তারকা অমিতাভ বচ্চন ও রজনীকান্ত। সিনেমার গল্পে তাঁদের জন্য বিশেষভাবে চরিত্র তৈরি করা হয়। জনপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বললেন, জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রীদের জন্যও ছবির চিত্রনাট্যে বিশেষভাবে চরিত্র তৈরি করা উচিত।শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আমার ইচ্ছা কী? আমি বলি, কিছু অভিনেত্রীর কথা বিশেষভাবে মাথায় রেখে ছবির চরিত্র তৈরি করা উচিত। মাধুরী দীক্ষিত, শ্রীদেবী, ওয়াহিদা রেহমান ও আমার জন্য চরিত্র লেখা দরকার। কারণ, অমিতাভ বচ্চন ও রজনীকান্তকে নিয়ে বিশেষ চরিত্র তৈরি হয়। গল্পে সেই চরিত্রটিই প্রাধান্য পায়। আমি মনে করি, এখন পরিবর্তন দরকার।’ নারী-পুরুষ বৈষম্য নিয়ে তিনি আরও জানান, সবকিছুতে পুরুষকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি সবার মনে গেঁথে গেছে। এই চিন্তার পরিবর্তন হওয়া উচিত।শর্মিলা তাঁর জীবনী লিখতে চান। কিন্তু কবে নাগাদ লিখবেন, তা এখনো নিশ্চিত নন। এর আগে শোনা গিয়েছিল, তাঁর জীবনী নিয়ে ছবি তৈরি হলে সেখানে আলিয়া ভাটকেই তাঁর পছন্দ। এবারও বললেন, পছন্দের তালিকায় বর্তমানে বলিউডের নায়িকাদের মধ্যে আলিয়াকেই রাখছেন সবার আগে। হিন্দুস্তান টাইমস।
269,855
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:০৭
১১ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:১৭
আইন ও আদালত
null
ষোড়শ সংশোধনী রায়ের অনুলিপি পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ, রিভিউর প্রস্তুতি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1341966
বিচারপতির অপসারণে ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিতে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের প্রত্যয়িত অনুলিপি পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।এখন রায় পর্যালোচনার পাশাপাশি পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।আজ বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল প্রথম আলোকে বলেন, দুই-তিন দিন আগে রায়ের প্রত্যয়িত অনুলিপি হাতে এসেছে।সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন, যার বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৩ জুলাই আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে রায় দেন। এরপর গত ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের দিনই সংশ্লিষ্ট শাখায় রায়ের প্রত্যয়িত অনুলিপি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেছিল।ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন, তা বাতিল করার জন্য যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ পাস হয়। ওই রায়ে জাতীয় সংসদ সম্পর্কে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির ‘অসাংবিধানিক, আপত্তিকর, অপ্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণ’ বাতিলের জন্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও একই প্রস্তাবে পাস হয়।এরপর জাতীয় সংসদে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আশা প্রকাশ করেন, এতে তারা ‘কামিয়াব’ হবেন।
340,883
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২০:৩৭
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২০:৪১
সরকার
0
জনপ্রশাসনের কাজ অটোমেশনের আওতায় আসছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/144109
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। ‘নেটওয়ার্কিং, অটোমেশন ও ডেটাবেজ উন্নয়ন’ শীর্ষক এক কর্মসূচির আওতায় এটি করা হচ্ছে।মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় পেনশন দেওয়া, বাজেট ব্যবস্থাপনা, কর্মকর্তাদের ছুটি ও শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম, কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ও ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবস্থাপনা, পদ সৃজন ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।ইতিমধ্যে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা উন্নয়ন করা হয়েছে এবং দুই হাজার ২৬ জন কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ই-মেইল ব্যবহারের সুবিধা সম্প্রসারিত করা হয়েছে। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সব কর্মকর্তা ও অন্যান্য ক্যাডারের উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চাকরি ও ব্যক্তিগত তথ্য-সম্পর্কিত ডেটাবেজ (পিএমআইএস) আধুনিকায়ন করা হয়েছে।এ ছাড়া ইতিমধ্যে সব ক্যাডারের ২৯ হাজার ৫৫৮ জন (শতকরা ৬৮ ভাগ) কর্মকর্তা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন এবং প্রাথমিক ডেটাবেজ প্রস্তুত করা হয়েছে।
50,162
শিশির মোড়ল
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৩৫
১৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০৩:৩৮
-1
0
অপুষ্টি শিশুমৃত্যুর স্পষ্ট নির্ধারক নয়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/125542
অপুষ্টি শিশুমৃত্যুর স্পষ্ট নির্ধারক (ডিটারমিন্যান্টস) নয়। একটি দেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন), পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা, নগরায়ণ, কিশোরী প্রজনন হার, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ, নির্যাতন, মায়ের শিক্ষা শিশুমৃত্যুর নির্ধারক হিসেবে কাজ করে।প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল-এর গবেষণা প্রবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে। ‘গ্লোবাল ডিটারমিন্যান্টস অব মর্টালিটি ইন আন্ডার ফাইভস: টেন ইয়ার ওয়ার্ল্ডওয়াইড লংজিটিউডিনাল স্টাডি’ শিরোনামের ওই প্রবন্ধ সম্প্রতি ছাপা হয়।এই গবেষণা প্রবন্ধের বক্তব্যের বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ড. তাহমিদ আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪০ শতাংশ শিশু মারা যায় অপুষ্টির কারণে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল-এর এই বক্তব্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।প্রবন্ধটি তৈরি করেছেন ফ্রান্সের একদল গবেষক। তাঁরা জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের ২০০০ থেকে ২০০৯ সালের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু কমাতে গবেষণার ফলাফল ভূমিকা রাখবে।শিশুমৃত্যুর নির্ধারক: ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল-এর ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, শিশুমৃত্যুর ওপর জাতীয় আয়ের প্রভাব সবচেয়ে স্বীকৃত। গবেষকেরা বলেছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুর ওপর জিডিপির তাৎক্ষণিক প্রভাব আছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটলে পুষ্টির উন্নতিতে, স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতায়, আবাসনসহ অন্যান্য খাতে আরও বেশি সম্পদ সরাসরি ব্যবহার করা যায়।গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে উন্নতি ঘটলেও স্বল্প আয়ের দেশগুলো বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পয়োব্যবস্থায় পিছিয়ে আছে। পানি সরবরাহ ও পয়োব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত রোগবালাই এসব দেশে জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। গবেষকেরা বলেছেন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পয়োব্যবস্থার সঙ্গে শিশুমৃত্যুর সম্পর্ক চিরাচরিত।গবেষকেরা বলেছেন, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের গর্ভধারণ শিশুমৃত্যুর নির্ধারক। স্বল্প আয়ের যেসব দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেশি, সেখানে দেখা গেছে কিশোরী মায়েদের সন্তান মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি দেখা গেছে, মায়ের শিক্ষা শিশুর অস্তিত্ব রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে। শিক্ষিত মায়েরা রোগ প্রতিরোধে সক্রিয় ও রোগের তীব্রতা সম্পর্কে সজাগ থাকেন এবং চিকিৎসা ও সেবার জন্য সচেষ্ট থাকেন।গবেষকেরা বলছেন, আশ্চর্যজনক হলো অপুষ্টি শিশুমৃত্যুর স্পষ্ট নির্ধারক হিসেবে দৃশ্যমান হয়নি। এই ফলাফল থেকে কী বলা যেতে পারে? তবে অপুষ্টি শিশুর মৃত্যু ঘটায় না, এটাও নিশ্চয়ই বলা যাবে না। অপুষ্টি অন্যান্য বৈশ্বিক নির্ধারকের নিকটতম নির্ধারক।এদিকে অপুষ্টির ব্যাপারে তাহমিদ আহমেদ বলেন, শিশুমৃত্যুর সঙ্গে অপুষ্টির সম্পর্ক দূরের বা পরোক্ষ নয়। গর্ভবর্তী মা অপুষ্টির শিকার হলে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অপুষ্টির কারণে শিশু খর্বকায় বা কৃশকায় হলে তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি। রক্তস্বল্পতা হচ্ছে অপুষ্টি। রক্তস্বল্পতায় শিশু মারা যায়। তাহমিদ আহমেদ বলেন, গবেষণায় পাওয়া এসব তথ্য বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর জন্য সত্য। অপুষ্টি দূর হলে শিশুমৃত্যু কমে, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য।
44,389
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৫০
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৫২
টেলিভিশন
0
আজকের সিনেমা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1555776
দুরন্ত টিভিদুপুর ৩-০০ দ্য উইন্ড অব দ্য উইলোজ। রাত ১০-০০ আইস এজ।এটিএন বাংলাদুপুর ৩-০৫ ব্রেভহার্ট-বাংলায় ডাব (মেল গিবসন)।চ্যানেল আইদুপুর ৩-০৫ রূপকথার গল্প (তৌকীর আহমেদ, চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, তাসকিন, হুমায়ুন ফরীদি)।এনটিভিসকাল ৮-৪৫ সে আমার মন কেড়েছে (শাকিব খান, তিন্নি, আলমগীর, আহমেদ শরীফ)।আরটিভিসকাল ১০-৪০ জান আমার জান (শাকিব খান, অপু বিশ্বাস)। দুপুর ২-১০ আজ গায়েহলুদ (আমিন খান, মৌসুমী)।বাংলাভিশনসকাল ৯-০৫ এক বুক জ্বালা (শাকিব খান, মৌসুমী, ফেরদৌস)। দুপুর ২-০৫ পুড়ে যায় মন (সাইমন, পরীমণি)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-৩০ কসম (ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জু ঘোষ, ওয়াসিম)। রাত ১২-০০ জ্বি হুজুর (সাইমন সাদিক, মিষ্টি জান্নাত)।মাছরাঙা টিভিসকাল ৯-৩০ মনের সাথে যুদ্ধ (মান্না, পূর্ণিমা)।নাগরিক টিভিদুপুর ৩-০০ আনন্দ অশ্রু।জি বাংলা সিনেমাদুপুর ১২-৩০ বাবা কেন চাকর (রাজ্জাক, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্রীলেখা মিত্র)। ৩-৩০ টক্কর (প্রসেনজিৎ, রচনা ব্যানার্জি)। ৬-২৬ অনুসন্ধান (অমিতাভ বচ্চন, রাখী, আমজাদ খান, উৎপল দত্ত, প্রেমা নারায়ণ)। ৯-২৩ ভিলেন (টোটা রায় চৌধুরী, ঋতুপর্ণা)।জলসা মুভিজসকাল ১১-০০ বউমার বনবাস। ২-৪০ আওয়ারা (জিৎ, সায়ন্তিকা)। ৬-১০ মোয়ানা। ৮-৩০ বলো না তুমি আমার (দেব, কোয়েল মল্লিক, টোটা রায় চৌধুরী, সব্যসাচী চক্রবর্তী)। ১২-০০ জিও পাগলা (যিশু সেনগুপ্ত, শ্রাবন্তী, কৌশিনী, ঋত্বিকা সেন)।জি সিনেমাসকাল ১০-০০ ধামাল (সঞ্জয় দত্ত, রিতেশ দেশমুখ, আরশাদ ওয়ার্সি)। ১-০১ এক রিস্তা (অক্ষয় কুমার, কারিশমা কাপুর, জুহি চাওলা, অমিতাভ বচ্চন)। ৪-৪৭ সুপার সিং (দিলজিৎ, সোনম বাজওয়া, পবন মালহোত্রা)। ৮-০০ জানোয়ার (অক্ষয় কুমার, কারিশমা কাপুর, শিল্পা শেঠি)। ১১-৩৯ লাভ অ্যাকশন ধামাকা (নাগা চৈতন্য, পূজা)।সেট ম্যাক্সসকাল ১১-০০ কাঞ্চনা দ্য ওয়ান্ডার কার (নয়নতারা)। ১-৫৩ রাওড়ি রাঠোড় (অক্ষয় কুমার, সোনাক্ষী সিনহা)। ৫-০০ মার মিটেঙ্গে টু (এনটি রমা রাও জুনিয়র, শ্রুতি হাসান, সামান্থা)। ৭-৫৩ সনু কে টিটু কি সুইটি (নুসরাত ভারুচা, কার্তিক আরিয়ান)। ১০-৫৩ ডেয়ারিংবাজ খিলাড়ি।
375,360
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:২৩
১৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:২৪
বিশাল বাংলা
0
দুটি ক্লিনিকে প্রসূতিসেবা বন্ধের নির্দেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/605569
অনুমোদন না থাকায় জয়পুরহাটে মেরি স্টোপস ও সূর্যের হাসি ক্লিনিক দুটিতে প্রসূতিদের প্রসব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন। সম্প্রতি ওই দুটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতি ও স্বাভাবিক প্রসবের পর নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় গত রোববার এ নির্দেশ দেওয়া হয়।জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও মেরি স্টোপস ক্লিনিক সূত্র জানায়, জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সিতামাতখুর গ্রামের প্রসূতি শারমিন বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে ১১ আগস্ট জয়পুরহাট শহরের মেরি স্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর ছেলে সন্তান হয়। অস্ত্রোপচারের পর শারমিন প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হন। মেরি স্টোপসের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে রাতেই জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে পাঠানো হয়। গত শনিবার শারমিনের আত্মীয়রা তাঁকে আবার জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরদিন রোববার সকাল নয়টার দিকে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।অপর দিকে পাঁচবিবি উপজেলার নন্দীগ্রামের রিমা রাণী প্রসব বেদনা নিয়ে ৯ আগস্ট সকাল ১০টায় জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট এলাকার সূর্যের হাসি ক্লিনিকে ভর্তি হন। বিকেল চারটায় ওই ক্লিনিকে রিমা স্বাভাবিক প্রসব করেন। এ সময় রিমার নবজাতক কান্নাকাটি না করলে ক্লিনিকের পরামর্শে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু পথেই নবজাতকের মৃত্যু হয়।এ দুটি ঘটনায় অভিযোগ করা হলে জেলা সিভিল সার্জন এস এম আবদুল জলিল সরেজমিন তদন্তের পর গত রোববার মেরি স্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিক ও সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সরকারি অনুমোদন না থাকায় ক্লিনিক দুটিতে প্রসূতি প্রসব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।সিভিল সার্জন এস এম আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, মেরি স্টোপস ও সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সরকারি অনুমোদন না থাকায় প্রসূতিদের স্বাভাবিক প্রসব ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জটিল প্রসবের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।ওই দুটি ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ ওই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন বলে জানান। গতকাল সোমবার মেরি স্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি বা অবহেলা ছিল না। ক্লিনিকটির সরকারি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, তাঁদের ক্লিনিকের অনুমোদন না থাকায় সিভিল সার্জনের নির্দেশে প্রসূতিদের প্রসবকালীন সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। অনুমোদন নেওয়ার পর ক্লিনিক আবার চালু করা হবে।
160,999
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫৭
১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৩৪
চলচ্চিত্র,বিনোদন
null
‘পিঁপড়াবিদ্যা’ অনলাইনে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/425284
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত পিঁপড়াবিদ্যা এবার অনলাইন চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে। আজ বেলা তিনটায় অনলাইন টিভি ও ভিডিও প্ল্যাটফর্ম পপকর্ন লাইভ টিভিতে (www.popcornlive.tv) দেখানো হবে ছবিটি।নির্ধারিত সময় ছাড়াও আজ থেকে দর্শক যেকোনো সময় চ্যানেলের ‘মুভিজ আর্কাইভ’-এ গিয়ে পিঁপড়াবিদ্যা দেখতে পাবেন। গত মাসেই এ ছবির টেলিভিশন প্রিমিয়ার হয়। প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পায় ২৪ অক্টোবর। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নূর ইমরান মিঠু, জাকারিয়া মুকিত ও ভারতের শিনা চৌহান।
107,241
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ নভেম্বর ২০১৭, ০৯:৫৭
০৯ নভেম্বর ২০১৭, ১০:২৭
অপরাধ
null
মানুষের কঙ্কালসহ আটক ২
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1361531
গাজীপুরের টঙ্গীতে বাসে তল্লাশি চালিয়ে মানুষের কঙ্কালসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এই অভিযান চালায়। আটক করা ব্যক্তিরা হলেন শেরপুরের নকলার মো. এরশাদ আলী (২৬) ও নাটোরের সিংড়ার আবদুল মোতালেব মিয়া (১৮)। গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গোপন তথ্য পেয়ে টঙ্গী থানার পুলিশ গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসায়। সন্দেহে থাকা বাসটি চৌকিতে এলে থামানো হয়। বাসে তল্লাশি চালিয়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কৌশলে পাঁচজন পালিয়ে গেছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক এরশাদ জানান, তাঁরা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা সদরের দুটি কবর থেকে জব্দ হওয়া কঙ্কাল চুরি করেছেন। এই কঙ্কাল নিয়ে তাঁরা ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। কঙ্কালগুলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। প্রতিটি কঙ্কাল ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
344,036
স্বপ্ন নিয়ে প্রতিবেদক
education
শিক্ষা
০৬ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৮
০৬ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩০
স্বপ্ন নিয়ে,মেধাবী
0
চোখের আলোয় নয়, মনের আলোয় বিসিএস উত্তীর্ণ
http://www.prothom-alo.com/education/article/704005
মানুষের জীবনে আনন্দঘন মুহূর্ত রোজ রোজ আসে না। কখনো কখনো আসে বৈকি! দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মাহবুবুর রহমান তখনো জানেন না, বহুদিন বাদে আজ আবার সেই বিরল মুহূর্তের মুখোমুখি হবেন তিনি। দিনটি ছিল ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দিন।প্রতিদিনের মতো সেদিনও সূর্য উঠেছিল, বাতাসে ছিল ধুলোর আস্তরণ, চারপাশ ছিল চিরচেনা-একঘেয়ে। কিন্তু মাহবুবুর যখন জানলেন ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় শোভা পাচ্ছে তাঁর রোল নম্বর, তিনি নির্বাচিত হয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের তালিকায়, তখন সেই চিরচেনা পরিবেশটাই যেন হঠাৎ অচেনা হয়ে উঠল। তিনি দিব্যকানে শুনতে পেলেন চারপাশে বেজে উঠেছে মোহন বাঁশির সুর। সেই সুরে কাছে-দূরের সবাই জেনে গেছেন মাহবুবুর রহমানের কৃতিত্ব। ধন্যি ধন্যি পড়ে গেছে সারা দেশে!মুঠোফোনে কথা হলো তাঁর সঙ্গে। বলছিলেন, তাঁর ছোটবেলা কেটেছে মৌলভীবাজারে। সেখানে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। এরপর সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পাস করেন এইচএসসি। চলে আসেন ঢাকায়। যেভাবেই হোক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হবে তাঁকে! মনের মধ্যে একটাই সংকল্প।সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করেন মাহবুবুর, ‘দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য কোচিংয়ের সুযোগ নেই। তাঁদের পড়ার উপযোগী কোনো গাইড বা লেকচারশিট কোথাও পাওয়া যায় না। আমি তাহলে পড়ব কীভাবে? এই সময় আমার তিন বোন পড়া রেকর্ড করে দিত। সেই রেকর্ড শুনে শুনে পড়া আত্মস্থ করতাম।’এমন শ্রম বৃথা যায়নি মাহবুবুরের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সুযোগ পান ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়ার। এই বিভাগ থেকে সাফল্যের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তারপর শুরু হয় তাঁর নতুন সংগ্রাম—বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন।এই স্বপ্ন তাঁর মনে বুনে দিলেন কে? মাহবুবুর মৃদু হেসে জানান, তাঁর এক পরিচিত বড় ভাই আছেন, নাম স্বপন। তিনি তিনবার বিসিএস মৌখিক পরীক্ষায় বসেছেন। প্রথমত, তাঁকে দেখেই বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হন। এরপর সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন পরিবারের কাছ থেকে। ‘আমার বাবা-মা আর বোনেরা সব সময় আমার পাশে থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’ বলছিলেন তিনি। এ ছাড়া বন্ধুবান্ধব আর শিক্ষকদের সহযোগিতা আর অনুপ্রেরণার কথাও অকপটে স্মরণ করলেন এই সংশপ্তক তরুণ।জানালেন, খুব শিগগিরই ৩৪তম বিসিএসের গেজেট প্রকাশিত হবে। তখন ঝাঁপিয়ে পড়বেন কর্মযজ্ঞে। শিক্ষকতার মহান পেশায় যুক্ত হয়ে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবেন—এই সুখানুভূতি বারবার জল এনে দিচ্ছে দৃষ্টিহীন মাহবুবুরের চোখে।
180,840
উজ্জ্বল মেহেদী, সিলেট
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০২:০৯
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০২:১৫
বিএনপি,সিলেট,রাজনীতি,আওয়ামী লীগ
null
বিএনপির প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজির পুনরাবৃত্তি আ.লীগে!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1428131
২০১০ সালের ৬ মে। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। ঘটনাস্থল, সিলেট নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকা। মিছিল করার সময় বিএনপির এক পক্ষের সঙ্গে আরেক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে বেছে নেয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে। হেলমেট ও ক্যাপ এবং মুখ বেঁধে তখন প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেখা যায়। অপরাহ্ণের সেই সশস্ত্র মহড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল নগরজুড়ে।গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়ার মধ্যে যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখেছে নগরবাসী।বিএনপি সূত্র জানায়, তখন দুটি ধারায় বিভক্ত ছিল সিলেট বিএনপি। ২০১০ সালের ৬ মার্চ কোর্ট পয়েন্টে তৎকালীন নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর পক্ষ আয়োজন করেছিল সমাবেশের। তিনি প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে তাঁদের সমাবেশ মঞ্চ ভেঙে দেয় বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর পক্ষ। এ নিয়ে দুই পক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। নগরের কেন্দ্রস্থলের কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পক্ষের হাতে সাজু আহমদ ওরফে রাজন (২৬) নামের একজন ছাত্রদল কর্মী নিহত হন।ওই ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারে শাহরিয়ার পক্ষের মিছিলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ায় অংশ নেয়। শাহরিয়ার পক্ষের মিছিলটি কোর্ট পয়েন্ট হয়ে বন্দরবাজার, তালতলা, জিন্দাবাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করার সময় হেলমেট পরা ৮ থেকে ১০ জনকে পাইপগান, রিভলবারসহ নানা রকম আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে লাল ক্যাপ পরা একজনের নেতৃত্বে ব্যানার দিয়ে পেঁচিয়ে অস্ত্র বহন করতে দেখা যায়। অস্ত্রবাজির ছবি ধারণ করার সময় প্রথম আলোর আলোকচিত্রীর ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেছিলেন ওই সময় নগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক পদে থাকা সাঈদ আহমদ। বর্তমানে তিনি জেলা কমিটির সভাপতি পদে আছেন।ঘটনার পরদিন প্রথম আলোসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছবি দেখে ছাত্রদল ক্যাডারদের শনাক্ত করা হয়। তাদের সংখ্যা ছিল ১৫। এর মধ্যে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে ৭ জনের। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দুটি মামলা করেন। একটি হত্যা মামলা, অন্যটি প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজির। এ দুটি মামলা প্রায় তদন্তহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে সিলেট কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে। এ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গৌছুল হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত এত বছর ঝুলে থাকার কথা নয়। তবে কী অবস্থায় আছে, নথিপত্র না দেখে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।কোর্ট পয়েন্ট, সুরমা পয়েন্ট ও বন্দরবাজার এলাকার বাসিন্দা সাতজন প্রত্যক্ষ করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের গত বৃহস্পতিবারের অস্ত্রবাজি। ওই সাতজনের মধ্যে দুজন জিন্দাবাজার সড়কে অবস্থানকালীন ২০১০ সালের ৬ মে বিএনপির মিছিলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অস্ত্রবাজির প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁরা দুজন একই সুরে বলেছেন, পার্থক্য শুধু একটিই ছিল, সেই অস্ত্রধারীদের সঙ্গে পুলিশ ছিল না, ঘটনার সময় অস্ত্রবাজদের নাম-ঠিকানাও মিলছিল না। আর বৃহস্পতিবারের অস্ত্রধারীরা সবাই প্রায় পরিচিত মুখ, সঙ্গে পুলিশও ছিল!এদিকে ঘটনার পরপরই জানতে চাইলে পুলিশের কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের অবস্থানকালে কোর্ট পয়েন্টসহ আশপাশ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি দেখেননি বলে এড়িয়ে যান। এমনটি সুরমা পয়েন্ট থেকে কোর্ট পয়েন্টে থাকা পুলিশের সাঁজোয়া যানের আশপাশে বন্দুক ও পিস্তল উঁচিয়ে মহড়া দেওয়ার বিষয়টিও চোখে পড়েনি বলে পুলিশ দাবি করেছিল।গতকাল শুক্রবার নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আমরা এ মামলার তদন্তকালীন অস্ত্রধারীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ পুলিশের মামলায় আসামি শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীসিলেটের আদালত ও বন্দরবাজার এলাকায় বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় শুধু বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানার এসআই অনুপ চৌধুরী বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। মামলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সামসুজ্জামান জামানসহ ৫৪ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসআই অনুপ চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আটক জাহিদুল ইসলাম (২২) ও আল আমিন (২২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা ছাত্রদলের কর্মী।
354,568
-1
international
আন্তর্জাতিক
১৩ আগস্ট ২০১৪, ০০:০২
১৩ আগস্ট ২০১৪, ০০:০২
আফ্রিকা
0
ইবোলার নতুন ওষুধ ব্যবহার করবে লাইবেরিয়া
http://www.prothom-alo.com/international/article/289366
ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য তৈরি নতুন ওষুধ জিম্যাপ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে লাইবেরিয়ায়। দেশটির সরকার এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সার্লিফের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওষুধটি পাঠানো হবে। ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন দুই স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর জিম্যাপ প্রয়োগে উন্নতির লক্ষণ দেখা গেছে।লাইবেরিয়ার সরকার মানুষের শরীরে এ ওষুধটির প্রভাব সম্পর্কে নিশ্চিত না হলেও তা ব্যবহারে রাজি হয়েছে। কারণ, তাদের হাতে ইবোলা প্রতিরোধে আর কোনো বিকল্প নেই।এদিকে লাইবেরিয়ায় ইবোলায় আক্রান্ত স্পেনের যাজক গতকাল মঙ্গলবার মারা গেছেন। তাঁকেও জিম্যাপ ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।বিমান চলাচল বন্ধ: ইবোলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত তিন দেশ—গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইভরি কোস্ট। এর আগে সৌদি আরব এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়।
84,792
ভোলা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৫১
২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৬
সরকার
null
আন্দোলনের হুমকি দিলে জেলে যেতে হবে: তোফায়েল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1372741
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আন্দোলনের হুমকি দিলে জেলে যেতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আজ শুক্রবার ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের হাজিরহাটে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। হাজিরহাটের আবদুল হান্নান হাওলাদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ঢাকার ভোলা সমিতির শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারা বলেন গণ-অভ্যুত্থান ঘটাবে। আমাদের টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, যদি সাহস থাকে তাহলে সেই চেষ্টা করুন। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি ভবিষ্যতেও রাষ্ট্র পরিচালনায় আসতে পারবে না।’বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসা ছাড়া বিএনপির বিকল্প কোনো পথ নেই। নির্বাচনে না এলে তাদের অস্তিত্ব-সংকট হবে। নির্বাচন বানচাল করার ক্ষমতাও তাদের নেই। আগামী নির্বাচনেও তারা রাষ্ট্রপরিচালনায় আসতে পারবে না।’বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ২০০ জন শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা, মেডেল ও সনদ দেওয়া হয়।ঢাকাস্থ ভোলা সমিতির সভাপতি বুয়েটের অধ্যাপক মাকসুদ হেলালীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল, ভোলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিজিএমইএ পরিচালক মো. সহিদুল হক মুকুল মোল্লা, আবদুল হান্নান হাওলাদার শিক্ষাবৃত্তির অর্থদাতা প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার প্রমুখ।
345,724
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩২
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৪৪
সরকার,শিক্ষাঙ্গন,সাংবাদিক,শিক্ষা
null
শিক্ষা খাতের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1578403
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সাংবাদিকেরা সরকার এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন। তবে তাঁরা যেসব তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেন, সেগুলো যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়। রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মিলনায়তনে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিইআরএফ) অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।শিক্ষা খাতের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে দীপু মনি বলেছেন, ‘পরস্পরের দোষারোপের মধ্যে আমরা যেন আটকে না যাই। আমরা যেন আমাদের আসল উদ্দেশ্যটা হারিয়ে না ফেলি। আমার মন্ত্রণালয়ের ভুলভ্রান্তি আমি সাংবাদিকদের কাছে অবশ্যই চাইব এবং বললে তা শুধরে নেওয়া সহজ হবে।’শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সব তথ্য মানুষের কাছে দেওয়ার জন্য না-ও হতে পারে। আপনি তথ্য পেলেন কিন্তু সেই তথ্য যদি ক্ষতিকর, বিভ্রান্তিকর হয়, তাহলে সেসব তথ্য লাভের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করতে পারে।’দীপু মনি বলেন, ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতেই পারে। শিক্ষা বিশাল খাত, এখানে বিপুল পরীক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কর্মযজ্ঞের মধ্যে নানা রকমের দুষ্টচক্রের সম্পৃক্ততা আছে, টাকার লেনদেনসহ অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুর মান উন্নয়ন রাতারাতি হয় না, আর সেটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই ধৈর্যটি কিন্তু আমাদের থাকতে হবে। আমরা এই খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখাতে পারব।’সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সবার দায়িত্ব আছে। সাংবাদিকের দায়িত্ব আছে সত্য প্রকাশ করা, প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে সেটা যাচাই করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ভবিষ্যৎ নাগরিক গড়ে তোলার মন্ত্রণালয় বলে আখ্যা দেন।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ফোরামের সভাপতি মোস্তফা মল্লিক সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্বাস।অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। অভিষেক অনুষ্ঠানে শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করা এবং এই খাতে অবদান রাখা কয়েকজন সাংবাদিককে সম্মাননা জানানো হয়। তাঁরা হলেন আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক শরিফুজ্জামান, এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক মানস ঘোষ, নিউজ টুয়েন্টিফোরের বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট ও এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি ফয়জুল্লাহ মাহমুদ।
389,851
আসাদুজ্জামান
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ আগস্ট ২০১৭, ০২:৩৩
২৭ আগস্ট ২০১৭, ০২:৩৬
-1
null
অলস সময় কাটাচ্ছেন পশু বিক্রেতারা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1304011
বছরখানেক আগে ৮০ হাজার টাকায় দুটি গরু কেনেন এম এ সৈকত। প্রতিদিন দুটি গরুর খাওয়ানো বাবদ খরচ হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। চার দিন আগে সেই গরু দুটি নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার ধূপখোলা হাটে এসেছেন সৈকত। তাঁর স্বপ্ন, এক লাখ টাকা করে দুটি গরু তিনি বেচবেন দুই লাখ টাকায়। এখন পর্যন্ত ১০ জন ক্রেতা তাঁর গরুর দামদর করেছেন। কিন্তু প্রতিটি ৫০ হাজারের বেশি কেউ বলছেন না।এমন দাম শুনে হতবাক সৈকত। হাসতে হাসতেই বলেন, ‘ক্রেতা এখন ডিমের দামে মুরগি কিনতে চাচ্ছেন। আমি ডিমের দামে মুরগি বেচব না। গরু ফিরিয়ে নিয়ে যাব।’গতকাল শনিবার দুপুরে ধূপখোলা মাঠে দেখা গেল, সৈকত তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে তাস খেলছেন। ক্রেতার আনাগোনা বেশ কম। তাই সময় কাটাতেই খেলার আয়োজন। ধূপখোলা মাঠ ইতিমধ্যে গরুতে ভর্তি হয়ে গেছে। কিছু ক্রেতা আসছেন। দামদর করছেন। তবে বেচাকেনা এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। সৈকতের মতো গরু বিক্রেতাদের অনেককেই এখন অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। গল্প করে, তাস খেলে, বিভিন্ন স্থানের পরিচিত ব্যাপারীদের সঙ্গে টেলিফানে কথা বলে সময় কাটছে তাঁদের।ধূপখোলা হাটে গরু নিয়ে আসা অন্তত ১৫ জন বিক্রেতার ধারণা, বাজার জমতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। বুধ-বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে কেনাবেচা শুরু হবে। তাঁরা আশা করছেন, বিদেশি গরু যদি বাজারে না আসে তাহলে ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন। এই হাটে দেখা গেল, ঝিনাইদহের সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর দুটি গরু দেখতে ভিড় করছিল কিছু মানুষ। দুটি গরুর দাম তিনি হাঁকিয়েছেন ১১ লাখ টাকা। আর নজরুল নামের ঝিনাইদহের আরেক ব্যবসায়ী গরু এনেছেন ১৬টি। তাঁর একটি গরু দেখতে লোকজন ভিড় করছে। গরুটি তিনি দুই বছর ধরে পুষেছেন। তিনি গরুর দাম চাইছেন ৫ লাখ টাকা। ১৫ বছর ধরে তিনি গরু নিয়ে আসেন ঢাকায়। অভিজ্ঞ এই গরু বিক্রেতা বলেন, কেনাবেচা না হলেও তাঁর সময় কাটছে গরুর দেখাশোনা করে। হাট ঘুরে জানা গেল, বেশির ভাগ গরু বিক্রেতার বাড়ি ঝিনাইদহে। শনির আখড়া গরুর হাট: ৮ মাস আগে ৭০ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন শেখ রহিম। কালো রঙের সেই গরুটি নিয়ে ফরিদপুর থেকে ট্রাকে করে ঢাকার শনির আখড়ার গরুর হাটে এসেছেন। এখন গরুটির দাম হাঁকছেন তিনি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তাঁর ভাষ্য, গরুর খাওয়ানো বাবদ প্রতিদিন খরচ হয়েছে ২০০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি মাসে তাঁর খরচ ৬ হাজার টাকা। এত কষ্ট করে গরুটি পুষে যদি লাভ না হয়, তাহলে এর থেকে বড় দুঃখ আর কী হতে পারে? রহিমের আশা, ভারতীয় গরু যদি বাজারে না আসে, তাহলে লাভে গরু বিক্রি করে বাড়ি যেতে পারবেন।রহিমের মতো আরেকজন শুক্কুর ব্যাপারী। ফরিদপুর থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এসেছেন। তাঁর মনেও বড় ভয়। ভারতীয় গরু যদি আসে, তাহলে পথে বসে যাবেন তিনি। মন খারাপ করে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরতে হবে।এই হাটেও বিক্রেতারা গল্পগুজব করে সময় পার করছেন। মাঝেমধ্যে দু-একজন ক্রেতা আসছেন, দামদর যাচাই করছেন। ফরিদপুরের লোকজনই এই হাটে গরু তুলেছেন বেশি।
335,216
কলকাতা প্রতিনিধি
international
আন্তর্জাতিক
২০ নভেম্বর ২০১৫, ০০:০০
২০ নভেম্বর ২০১৫, ০০:০০
ভারত
0
মদনের জামিন বাতিল
http://www.prothom-alo.com/international/article/688336
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্রের জামিন বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন বাতিল করা হয়। সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় টানা ১১ মাস কারাগার ও হাসপাতালে বন্দী থেকেছেন সদ্য পদত্যাগ করা ক্রীড়া ও পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র। গত ৩১ অক্টোবর তিনি আলীপুর জজ আদালত থেকে জামিন নেন। তবে আপত্তি তুলে সিবিআই জামিন বাতিলের আবেদন করে। গত বুধবার এর শুনানি হয়। সেদিনই মদনের পাঠানো পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
176,134
-1
sports
খেলা
১৭ নভেম্বর ২০১৬, ০২:২০
১৭ নভেম্বর ২০১৬, ০২:২১
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
ডেবিই প্রথম
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1022637
প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ১০০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন, চারটি সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৪০০০ রান। ১৯টি টেস্ট খেলা নিউজিল্যান্ড নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ডেবি হকলি আরও একটা জায়গায় প্রথম হয়ে গেলেন—নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) ১২২ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী সভাপতি। আগামী তিন বছরের জন্য এনজেডসির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডেবি। ক্রিকইনফো।
266,026
নয়াদিল্লি প্রতিনিধি
economy
অর্থনীতি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:১৮
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:২০
বাণিজ্য,বিদেশের খবর
0
ভারতে ‘অভিনব’ রেল বাজেট
http://www.prothom-alo.com/economy/article/463033
ভারতের রেলব্যবস্থাকে কীভাবে লাভজনক, ঝুঁকিহীন ও ভোক্তাবান্ধব করে তোলা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে তারই একটা নমুনা রাখলেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। গতকাল বৃহস্পতিবার লোকসভায় ২০১৫-১৬ সালের যে রেল বাজেট তিনি পেশ করলেন, তাতে যাত্রীভাড়া বাড়ানো হয়নি, নতুন কোনো ট্রেনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে পণ্য মাশুলের হেরফের ঘটিয়ে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের পথ সুগম করা হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘বাজেট অভিনব’।কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান শাসক দল দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি রেল মন্ত্রণালয় নিজেদের হাতে রাখতে পারেনি। কোনো না কোনো শরিক দল তা পেয়ে এসেছে। এবং প্রতিটি দলই এই মন্ত্রণালয়কে তাদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে এসেছে। নিজের ক্ষমতায় সরকার গড়ে বিজেপি এই প্রথম রেল মন্ত্রণালয় হাতে নিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু তাই কারও মন রাখার বাজেট তৈরির পথে না হেঁটে বেলাইন ভারতীয় রেলকে লাইনে তোলার চেষ্টা করেছেন। তাঁর প্রধান চার লক্ষ্য—রেল পরিষেবার সার্বিক উন্নতি ঘটানো, ভ্রমণকে নিরাপদ করে তোলা, রেলের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার ও সে জন্য অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং ভারতীয় রেলকে অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করে তোলা। এখন দৈনিক ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ ভারতের ট্রেনগুলোতে ভ্রমণ করে, তা ৩ কোটি করা হবে। বার্ষিক ১০০ কোটি টন পণ্য পরিবহন বাড়িয়ে করা হবে দেড় শ কোটি টন।এটা ঠিক যে ট্রেনের যাত্রীভাড়া ভারতে যথেষ্ট কম। পণ্য মাশুলের আয় থেকে যাত্রীভাড়ায় ভর্তুকি দেওয়া হয়। প্রতিবছরেই রেলমন্ত্রীরা যাত্রী সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর জোর দেন। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের যথেষ্ট অভাব থেকেই যায়। সুরেশ প্রভু এবারের বাজেটে এই দিকে বিশেষ নজর দিতে চেয়েছেন। টিকিট কাটা সহজ করে তুলতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন। খাবারের মানের উন্নতির ওপর জোর দিয়েছেন, বহু স্টেশনকে ওয়াই-ফাইয়ের আওতায় আনছেন, প্রবীণ ও গর্ভবতীদের নিচের বার্থ দেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছেন, ওপরের বার্থে ওঠার জন্য কামরায় ভাঁজ করা সিঁড়ি রাখারও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। স্টেশন ও ট্রেনে আলোর জোগানে সৌরবিদ্যুতের ওপর বড় জোর দেওয়া হচ্ছে।আগামী পাঁচ বছরে ভারতীয় রেলে সাড়ে আট লাখ কোটি রুপি লগ্নি হবে। প্রশ্ন উঠছে, এই বিপুল অর্থ কোথা থেকে আসবে। বাজেটে তার কোনো উত্তর কিন্তু সুরেশ প্রভু দেননি। বিদেশি বিনিয়োগ কোন কোন ক্ষেত্রে আসবে, তারও উল্লেখ নেই। নতুন ট্রেন ও প্রকল্প ঘোষণার আগে তার কার্যকারিতা বিশেষ খতিয়ে দেখা হতো না বলে প্রভু মনে করেন। তিন শর বেশি ঘোষিত প্রকল্প এখনো ঝুলে রয়েছে। সেগুলোর রূপায়ণে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি রুপির প্রয়োজন। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোন কোন ট্রেন লাভজনক ও প্রয়োজনীয়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই পর্যালোচনা শেষ হলে তিনিও নতুন ট্রেনের কথা ঘোষণা করবেন।
118,902
-1
international
আন্তর্জাতিক
১৩ জুলাই ২০১৫, ০২:০৮
১৩ জুলাই ২০১৫, ০২:০৯
ইউরোপ
0
ইইউর সম্মেলন বাতিল
http://www.prothom-alo.com/international/article/576976
ঋণদাতাদের কাছে দেওয়া গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে গতকাল রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) যে পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি নিয়ে ব্রাসেলসে ইউরোজোনের মন্ত্রীদের বৈঠক শেষ না হওয়ায় আরও আলোচনার সুযোগ দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইইউর ইতিহাসে এত স্বল্প সময়ে কোনো শীর্ষ সম্মেলন স্থগিতের নজির নেই। খবর এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসির।চলমান আলোচনা নিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের ফোরাম ইউরোগ্রুপের নেতারা আবার আলোচনায় বসবেন। গ্রিস নিয়ে আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।’ ইউরোজোনের মন্ত্রীদের আলোচনার পর গ্রিসের দেওয়া প্রস্তাবটি ইইউর সম্মেলনে উত্থাপনের কথা ছিল। কর আরোপ, পেনশন এবং প্রশাসনিক নানা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রিস এই প্রস্তাব দিয়েছে।মন্ত্রীদের আলোচনায় গ্রিসের প্রস্তাব গৃহীত না হলে ইউরোজোন থেকে দেশটির বিদায় নেওয়ার আশঙ্কা আছে। গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে ইউরোগ্রুপের দীর্ঘ বৈঠকেও গতকাল দুপুর পর্যন্ত কোনো মতৈক্য হয়নি। ইউরোগ্রুপের প্রধান ইউরুন দায়সোব্লুম বলেন, ‘গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘ ও গভীর আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনা খুবই জটিল অবস্থায়, তবে এখানে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে।’ইউরোজোনের মন্ত্রীরা গ্রিসের ঋণের বোঝা কমানোর জন্য নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা একপর্যায়ে বেশ জটিল হয়ে ওঠে। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস দমব্রোভকিস বলেন, ‘গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অসম্ভবই মনে হচ্ছে।’দমব্রোভকিসের কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যায় স্লোভাকিয়ার অর্থমন্ত্রী পিটার কাজিমির কথায়। তিনি বলেন, ‘আজ কোনো চুক্তি সম্ভব নয়। ইইউ সরকারপ্রধানদের জন্য আমরা কিছু পরামর্শ দিতে পারি। এর চেয়ে বেশি কিছু হবে না।’তবে ফিনল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী আলেক্সান্দার স্টাব বলেন, ‘আমি এখনো আশাবাদী। একটি চুক্তির বিষয়ে গ্রিস এবং অন্য ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ব্যবধান সামান্য।’আলোচনা ব্যর্থ হলে গ্রিসকে সাময়িকভাবে ইউরোজোন থেকে বাইরে রাখতে ইইউর নেতৃস্থানীয় দেশ জার্মানি একটি প্রস্তাব দিয়েছে বলে গত শনিবার বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে বলা হয়। গ্রিস বলছে তারা এমন প্রস্তাবের বিষয়ে কিছুই জানে না। তবে এযাবৎ যে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে গ্রিস। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গ্রিসের ক্ষমতাসীন সিরিজা পার্টির সদস্য দিমিত্রিয়স পাপাদিমুলিস বলেছেন, এখানে যে নাটক হচ্ছে তার উদ্দেশ্য হলো গ্রিস এবং গ্রিসের মানুষদের অপমান করা। এটি আলেক্সিস সিপ্রাসের সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা।আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত গ্রিস ২০১৮ সালের মধ্যে পুনরুদ্ধারের জন্য ঋণদাতাদের কাছে আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি ইউরো চেয়েছিল। তবে নতুন প্রস্তাবে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪০০ কোটি ইউরোতে। আর্থিক পুনরুদ্ধারের (বেইল আউট) কর্মসূচির জন্য গ্রিস যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে একগুচ্ছ ঋণদাতাদের শর্ত অনুযায়ী একগুচ্ছ কৃচ্ছ্রর প্রতিশ্রুতি আছে। প্রায় অনুরূপ শর্ত ৫ জুলাইয়ের আলোচিত গণভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। এ কারণে ক্ষুব্ধ গ্রিকদের অনেকে এখন একে জনগণের সঙ্গে সরকারের তামাশা বলে আখ্যা দিয়েছে।
152,472
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৭ নভেম্বর ২০১৩, ০২:২৯
০৭ নভেম্বর ২০১৩, ০২:৩২
খেলা
0
২৫ বছর পর...
http://www.prothom-alo.com/sports/article/67558
টিভি পর্দায় দেখা গেল, কাজী সালাউদ্দিন দেখছেন বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচ! বিস্মিত হওয়ার কী আছে? এখনকার বাফুফের সভাপতি বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সুযোগও তাঁর ছিল। জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন চার-পাঁচবার! তার পরও বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহারের কারণটা সাবেক ফুটবল তারকার মুখেই শুনুন, ‘১৯৮৮ সালে সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছি। তারপর আজই (কাল) দেখলাম প্রথম।’ বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসানের আমন্ত্রণে গিয়েছেন দেশের মাটিতে ক্রিকেট দেখতে, সেটিও ২৫ বছর পর। ম্যাচ দেখতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনও একটা কারণ ছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি সালাউদ্দিনের।
26,077
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ মে ২০১৫, ০২:১৫
২২ মে ২০১৫, ০২:১৬
সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
হাতকড়াসহ পালানোর ১৪ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/534322
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রেজাউল করিম নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তারের পর হাতকড়াসহ তিনি পালিয়ে যান।পুলিশ জানায়, রেজাউলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জোরারগঞ্জ থানার এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ মিরসরাইয়ের করেরহাট এলাকার তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। গ্রেপ্তারের পর হাতকড়া পরিয়ে থানায় নেওয়ার সময় রেজাউল পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁর মা ও এক মামাসহ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।জোরারগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, গতকাল দুপুরে করেরহাট ফরেস্ট বিট এলাকা থেকে রেজাউলকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়।
140,952
আদালত প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ জুলাই ২০১৪, ০১:৪৪
১৫ জুলাই ২০১৪, ০২:০২
আইন ও বিচার,রাজধানী (জাতীয়)
0
তারেকের পিএস অপুর জামিন নামঞ্জুর
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/268147
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব (পিএস) মিয়া নুর উদ্দিন ওরফে অপুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক বাসুদেব রায় শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।অপুর আইনজীবী তরিকুল ইসলাম আদালতকে জানান, এই মামলার অন্য আসামিরা জামিনে আছেন। আসামি অসুস্থ। আসামির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সঠিক নয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫-এর-২ ধারা এই আসামির জন্য প্রযোজ্য নয়। তাই তিনি জামিন পেতে পারেন।দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আদালতকে বলেন, এই মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর কারাগারে আটক আছেন। মামলার নথি অনুযায়ী বাকি আসামিদের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তাঁর দুই ছেলে সাদাত ও সানভীর সোবহান এবং তারেক রহমান মামলার পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ ছাড়া আসামি অপুর বিরুদ্ধে হাওয়া ভবনের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে জামিন দেওয়ার সুযোগ নেই।শুনানির সময় অপুকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।২০০৭ সালের এক/এগারোর পটপরিবর্তনের পর থেকে অপু পলাতক ছিলেন। এর পর থেকে তিনি মূলত মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। প্রায় মাস খানেক আগে তিনি গোপনে দেশে ফিরেন এবং ১৮ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর পর থেকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ পায়নি, এমনকি বিএনপির নেতারাও জানতেন না বলে দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে। এ নিয়ে গত রোববার প্রথম আলোতে বিস্তারিত খবর প্রকাশিত হয়।
77,821
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ এপ্রিল ২০১৭, ০২:৪৭
২১ এপ্রিল ২০১৭, ০২:৪৮
রাজনীতি
null
দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1152656
সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন দাবি করেছেন, তাঁদের শাসনামলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছিল, সেগুলোর একটি ছাড়া বাকিগুলোর কাগজপত্র আগে থেকেই তৈরি ছিল। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সব কাগজপত্র ছিল। এই মামলা করার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের কোনো বিষয় ছিল না। কারণ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছিল পুরোপুরি স্বাধীন। মইনুল হোসেন এ কথা বললেও ওই সময়ে দুদক স্বাধীন ছিল না। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি-অনিয়ম দূর করার অভিযানের জন্য গঠন করা হয় ‘গুরুতর অপরাধ দমনসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’। এর প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তাঁর নেতৃত্বে বছরখানেক দেশব্যাপী অভিযান চালানো হয়।গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এবং এর আগে বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মইনুল হোসেন গোয়েন্দা সংস্থা ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সে সময়ের সেনা কর্মকর্তারা রাজনীতিকদের একটি শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন।সাবেক এই উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মইনুল হোসেন “মাইনাস টু ফর্মুলা” কার্যকর করতে চেয়েছিলেন। তাঁর কাছ থেকে মানুষ কোনো সবক শুনতে চায় না। তাঁর দুর্নীতি-অপকর্মের বিচার হওয়া উচিত। তিনি যে দেশে থেকে এখনো কথা বলছেন, এটাই আশ্চর্যের।’অন্যদিকে মইনুল হোসেনের বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিভিন্ন অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছয়টি এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নামে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার হয় বা বাদী মামলা তুলে নেন। তবে খালেদা জিয়ার নামে করা মামলাগুলো চলমান।বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মামলাগুলোর বিষয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘একটা জিনিস আমি এখন বলতেছি আপনাকে, সেটা আপনি ভেরিফাই (যাচাই) করেন সাংবাদিক হিসেবে, দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে, এ মামলাগুলোর কাগজপত্র আগে থেকেই তৈরি ছিল। নাইনটি নাইন পার্সেন্ট। একটা হয়তো হইতে পারে...একমাত্র ওই যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাস্টের একটা ব্যাপার নিয়ে। ওইটা মনে হয় তারা নতুন করেছে...সেটা ভিন্ন কথা।’মামলার কাগজপত্র কারা তৈরি করে রেখেছিল, জানতে চাইলে মইনুল হোসেন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সব কাগজপত্র, ফাইল থাকে, ছিল। তবে কোন গোয়েন্দা সংস্থা কাগজপত্র তৈরি করে রেখেছিল, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। সাবেক এই উপদেষ্টা দাবি করেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল, নতুন করে কিছু করা হচ্ছে না। সব মামলার কাগজপত্র তৈরি করা আছে। শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলা, যেটি ব্যবসায়ী নূর আলী করেছিলেন, সেটি নতুন ছিল। এ ছাড়া সব মামলা রেকর্ডভিত্তিক ছিল।মইনুল হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘তাঁদের (সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের) একটা বক্তব্য ছিল যে ব্যারিস্টার সাহেব আমরা তো বেশি দিন থাকব না, কিন্তু একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত যে নো বডি ইজ অ্যাবাভ ল (কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়)। সে প্রাইম মিনিস্টার হোক, আর প্রেসিডেন্ট হোক। সে হিসেবে তাঁদের একটা অ্যাটিচিউড কাজ করছে। এটা আমি অস্বীকার করব না।’আর গতকাল প্রথম আলোকে মইনুল হোসেন বলেন, ‘উপদেষ্টা হিসেবে আমরা চাইনি দুদকের কাজে হস্তক্ষেপ হোক। তবে রাজনীতিবিদদের যাতে জামিন হয়, চিকিৎসা হয়, তাঁরা হাসপাতালে যেতে পারেন, সেসব বিষয়ে আমরা সহায়তা করেছি।’আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, এক-এগারোর ওই সরকার দেশের প্রধান দুই দলের নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরাতে চেয়েছিল, যা ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ হিসেবে পরিচিতি পায়। মইনুল হোসেনও এই ‘ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।এ বিষয়ে মইনুল হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু আমি সে সময় রাজনীতি নিয়ে কথা বলতাম... তারা (রাজনীতিকেরা) মনে করেছে যেহেতু দুর্নীতির মামলা হচ্ছে, সেটা ব্যারিস্টার সাহেব করতেছে। আই ওয়াজ সিরিয়াসলি মিসআন্ডারস্টুড (আমাকে সাংঘাতিক রকম ভুল বোঝা হয়েছিল)। আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল।’
312,698
রাশেদুল ইসলাম
sports
খেলা
৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৩:০৮
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৫১
ক্রিকেট,শচীন টেন্ডুলকার,সাকিব আল হাসান
null
ফুটবলার না হয়ে তিনি এখন সাকিবের ‘গুরু’
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1309171
কোনো সমস্যায় পড়লেই শচীন টেন্ডুলকার ছুটে যেতেন তাঁর ছোটবেলার কোচ রামকান্ত আচরেকারের কাছে। তিনিই ছিলেন তাঁর ভরসা। স্পিনারদের বিপক্ষে খুব বেশি এলবি হচ্ছেন, চলে গেলেন আচরেকার স্যারের কাছে, অফস্টাম্পের বাইরের বলে পা ঠিকমতো যাচ্ছে না, আচরেকারই ভরসা। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করার আগে পর্যন্ত আচরেকারই যেন ছিলেন লিটল মাস্টারের ‘গাইড ও গডফাদার’। আমাদের সাকিব আল হাসানেরও আছেন তেমনি একজন ‘গুরু’। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। টেন্ডুলকারের মতোই ‘খারাপ সময়ে’ সাকিবের মানসিক প্রশস্তি সালাউদ্দিনই।তথ্যটা পুরোনো। গণমাধ্যমে সাকিবের ‘গুরু’ হিসেবে অনেকবারই এসেছে সালাউদ্দিনের নাম। কিন্তু নতুন তথ্যটা হলো, হালে দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেট কোচ সালাউদ্দিনের নাকি ক্রিকেটের ধারেকাছে আসারই কথা ছিল না। ১৯৮৬ সালে বিকেএসপিতে ছাত্র হিসেবে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন ফুটবলে। কিন্তু দেশের ফুটবলে তখন রমরমা অবস্থা। সবাই ফুটবলার হতে চায়। সালাউদ্দিন সুযোগ পেলেন না ফুটবলে। খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভর্তি হলেন ক্রিকেটে। ফুটবলার হওয়ার শখ থাকলেও ক্রিকেটার হিসেবেই শুরু করলেন বিকেএসপি-জীবন।খুব বড় ক্রিকেটার সালাউদ্দিন হতে পারেননি। কিন্তু কোচ হিসেবে দেশের অন্যতম সেরা। অনেক ক্রিকেটার তৈরি করেছেন নিজের হাতে। আজকের সাকিব গড়ে উঠেছেন তাঁর হাতেই। কেবল সাকিব নন, নাসির হোসেন ও মুমিনুল হকও তাঁর সরাসরি শিষ্য। রসিকতা করেই অনেকে বলেন, সালাউদ্দিন ফুটবলার হলে সাকিবকে না-ও পেতে পারত বাংলাদেশ।সাকিব নিজে কিন্তু তাঁর গুরুকে নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিতই সব সময়। একবার বলেছিলেন, ‘ছেলেবেলার শিক্ষকের কাছ থেকে শেখা সব সময়ই স্বাচ্ছন্দ্যের। ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে, মানে অনূর্ধ্ব-১৩ পর্যায় থেকে সালাউদ্দিন স্যার আমাকে খুব ভালোমতো চেনেন, জানেন। তাই তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভীষণ দৃঢ়।’১১ বছর বিকেএসপিতে খণ্ডকালীন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন সালাউদ্দিন। তবে ফুটবলার হতে না পারার দুঃখটা এখনো পোড়ায় তাঁকে, ‘জানেন, বিকেএসপিতে যখন ফুটবলার হিসেবে ভর্তি হতে পারলাম না, তখন খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। ক্রিকেটে ভর্তি হয়েও আশা ছিল ফুটবলের হয়তো চলে যেতে পারব। কিন্তু পারলাম না। ফুটবলার হতে না পারার দুঃখটা আমার কখনোই যাবে না।’২০০২ সালে সাকিবের প্রতিভা চিনেছিলেন সালাউদ্দিন। বিকেএসপির হোস্টেল থেকে বোলিং-ব্যাটিংয়ের যাবতীয় খুঁটিনাটি নিজের হাতে শিখিয়েছেন। মাঠে-নেটে দীর্ঘ সময় পার করতেন তাঁরা দুজন। প্রিয় শিষ্য সেই দিনগুলো কখনোই ভোলেনি। আজও অফ ফর্মে থাকলে ছুটে যান বিকেএসপিতে সালাউদ্দিনের বাড়িতে, নিজের সমস্যা অকপটে বলেন। পরামর্শ চান। ২০১৬ সালে আইপিএলে খুব বাজে করছিলেন। কলকাতা থেকে চট করে ছুটি নিয়ে দেশে এসে সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন—এটা একটা উদাহরণ। এমন ঘটনা বহু আছে। কেবল সাকিব নন, সালাউদ্দিন ‘মেন্টর’ দেশের অনেক সেরা ক্রিকেটারেরই। তারকাখ্যাতি সেখানে গিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় মাথা নত করে। তাঁর সঙ্গে নিজেদের সমস্যার কথা আলোচনা করে বর্তে যান তাঁরা।কোচ হিসেবে কিন্তু সালাউদ্দিনের সাফল্যটা ঈর্ষণীয়। কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতে ২০০১-০২, ২০০২-০৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। সর্বশেষ মৌসুমে তাঁর হাত ধরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও পেয়েছে প্রিমিয়ারে শিরোপার স্বাদ। এক মৌসুম আগে তাঁর অধীনে বিপিএলে শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। কোচ হিসেবে দারুণ বায়োডাটা। কিন্তু সালাউদ্দিন নিজে মনে করেন, ফুটবল কোচ হলে তিনি নাকি আরও ভালো করতেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ফুটবল কোচ হলে আমি ক্রিকেটের চেয়েও ভালো করতাম। ভবিষ্যৎটা আরও ভালো হতে পারত।’ বিকেএসপির ক্যাফেটেরিয়ায় বসে তিনি যখন এই কথাগুলো বলছেন, তাঁর হাতে তখন ফুটবল কোচিংবিষয়ক বই—‘নাইনটি মিনিটস ম্যানেজার’।নিজের দুই ছেলের অন্তত একজনকে ফুটবলার বানাতে চান সালাউদ্দিন। হয়তো নিজে যা হতে পারেননি, ছেলের মাধ্যমে সেটিই পেতে চান। দেশকে উপহার দিয়েছেন সাকিব আল হাসানকে। তাঁর ছেলেও হয়তো কারও হাত ধরে হয়ে উঠবে দেশসেরা ফুটবলার—এমন স্বপ্ন মনের মধ্যে বয়ে বেড়ান সালাউদ্দিন।
335,958
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
opinion
মতামত
০২ আগস্ট ২০১৮, ১২:২৯
০২ আগস্ট ২০১৮, ১২:৪৬
-1
null
সড়কের আসল ঘাতক মাফিয়াতন্ত্র ও দুর্নীতি
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1545411
বাংলাদেশের সড়ক চূড়ান্ত পর্যায়ে অনিরাপদ। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৬৪ জন, বছরে ক্ষতি অন্তত ৩৪ হাজার কোটি টাকা। বহু কারিগরি কারণ ও রাজনৈতিক প্রশাসনিক দুর্বৃত্তপনা এর জন্য দায়ী। আমাদের রাস্তাগুলো কেন মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে, তার জন্য বিবেচনায় নিতে হবে অন্তরালের কারণগুলো।মাফিয়াতন্ত্রের অশুভ হাতযোগাযোগের বেলায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে আছে পরিবহন খাতে মাফিয়াতন্ত্রের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হওয়া। এই মাফিয়াতন্ত্র কার্যকর আইন প্রণয়ন, তদারকি ও শাস্তিদানের ব্যবস্থার সামনে বড় বাধা হয়ে আছে। আজ বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর সংবাদে বলা হয়েছে, পরিবাহন খাত সরকারের মন্ত্রী, সাংসদসহ আওয়ামী লীগের নেতা এবং তাঁদের আত্মীয়দের কবজায়। ‘ক্ষমতার ছায়ায় থাকা চালকেরাও হয়ে ওঠেন বেপরোয়া’। সংবাদেই সত্যটা প্রকাশিত: ‘রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, সদস্যরা বেনামে পরিবহন ব্যবসায় যুক্ত হওয়ায় রাস্তায় আর কোনো আইনি নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে।’যোগ্যতাসম্পন্ন চালক সরবরাহে বড় সমস্যা নৌমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের তদবির। সেখান থেকে নির্দেশ এলে যে-কাউকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়ার সাধ্য কারও নেই; যদিও বলা হয় সিস্টেম ডিজিটাল! বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্র জানায়, ১৯৯২ সাল থেকে নৌমন্ত্রীর সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের দেওয়া তালিকা ধরে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার চালককে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১-১২ সালেও শাজাহান খানের স্বাক্ষরসংবলিত তালিকা ধরে যথাযথ পরীক্ষা ছাড়া হাজার হাজার লাইসেন্স পেশাদার চালককে দেওয়া হয়েছে।দুর্নীতির কাছে আইন পরাজিতবিআরটিএ অত্যন্ত হাস্যকর মানের ড্রাইভিং পরীক্ষা নিয়ে লাইসেন্স দিয়ে থাকে, যা এখনো ঘুষের বিনিময়ে পাওয়া যায়। বিআরটিএর গাড়ির ফিটনেস যাচাই মান ভয়ংকর পর্যায়ের নিম্ন। এই ধরনের মানহীন ফিটনেস পরীক্ষার কোনো সুফল নেই। তবে এর বাইরেও কিছু পরোক্ষ ব্যাপার আছে, যা একেবারেই অনালোচিত। এ রকম তিনটি ব্যাপার হলো:১. যাত্রী ও পণ্যবাহী প্রতিটি বাহনে ব্যাপক চাঁদাবাজি। এর কারণে কম ট্রিপে অনিরাপদ সড়কে বেশি মাল ও যাত্রী পরিবহনের ঝোঁক প্রাধান্য পায়। (উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে ৪৩৯ কিলোমিটার চলতে একটি ১০ টনের পণ্যবাহী ট্রাকে ২২ হাজার টাকা শুধু চাঁদাবাজি হয়। পাঁচ বছর পর অঙ্কটা আরও বাড়ার কথা।) এটাই নৌপরিবহনমন্ত্রীর ক্ষমতার উৎস। আর পরিবহন খাতটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিশাল শ্রমিক বাহিনীকে জিম্মি করে তিনি সরকারের কাছেও অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন।২. দুর্নীতি ও অধিক চুরি নিশ্চিত করতে সড়কের লেন চুরি হয়েছে সর্বকালেই। বড় বড় আধুনিক যাত্রী ও পণ্যবাহী বাস-ট্রাকের উপযোগী লেনের স্পেস এবং ভার বহন সক্ষমতা কম। প্রয়োজনের সঙ্গে সমন্বয় করে রাস্তায় প্রশস্ত লেন, সহনীয় বাঁক, সমতল পিঠ নির্মাণ করা হয় না। রাস্তার বাঁক বৈজ্ঞানিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি, নেই সঠিক ও পর্যাপ্ত সড়ক সংকেত। নির্মাণসামগ্রী নিম্নমানের, পিচে নিম্নমানের বিটুমিন দেওয়া হয়, যাও আনুপাতিক হারে দেওয়া হয় না। অতি নিম্নমানের ইট ব্যবহৃত হয়। অতি চুরির কারণে রাস্তায় গর্ত হয় প্রচুর, রাস্তার উপরিতল বেশ উঁচু-নিচু। মহাসড়কে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য আলাদা লেন নেই, রাস্তায় সার্ভিস লেন নেই, নেই বাস বা ট্রাকের স্ট্যান্ড, একেবারে সাইডের লেন ওঠানামার জন্য প্রশস্ত নয়। নেই নিম্নগতির বাহনের জন্য আলাদা রাস্তা, চুরি করতে গিয়ে রাস্তা প্রশস্ত না করে হাঁটার জায়গাও পিচঢালা পথে দখল হয়ে পড়ে। ৩. সড়ক ধারণ ক্ষমতার ধারণা বাস্তবায়িত নয় একেবারেই। যেনতেন মানের ইট ও বালু দিয়ে ১, ৩ ও সর্বোচ্চ ৫ টন ধারণ ক্ষমতার যানবাহনের জন্য সড়ক বানানো হয়, অথচ টাটার ট্রাকই ১৫ টন বহনে সক্ষম। রাস্তায় জ্যাম, সেতুতে টোলের কারণে ট্রাকচালক ও মালিক ৫ টনের কথা বলে ১২ থেকে ১৫ টন বহন করেন। এটা মালিক-চালকের একতরফা সমস্যা নয়, বরং অদূরদর্শী অবকাঠামো, বাস্তবায়নকারীদের চুরি ও ব্যক্তির ব্যবসায়িক লাভের চাহিদা ইত্যাদি বহুমাত্রিক হীনতার প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা অর্থনৈতিক আচরণের মিশ্রণ। যানবাহনের ভারের অনুপাতে ভিত্তি তৈরি না থাকার ফলে পিচের নিচের মাটি উঁচু-নিচু হয়ে ও বড় বড় গর্ত তৈরি করে মরণফাঁদ তৈরি করে রাস্তায় রাস্তায়।চালকেরাও ভালো নেইড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের স্টান্ডার্ড অনলাইন-অফলাইন কোর্স কারিকুলাম, শিক্ষণপদ্ধতি, বেসরকারি এজেন্টভিত্তিক প্রক্রিয়া প্রণয়ন করা করা হয়নি, করা হয়নি মানসম্মত পরীক্ষাপদ্ধতি প্রবর্তন। শিক্ষাহীন, কর্মহীন কিশোর-যুবক দীর্ঘদিন হেলপারি করে পেটেভাতে ঠেলা-গুঁতা খেয়ে ড্রাইভিং শেখে, কিন্তু রাস্তার সংকেত বোঝার বাধ্যবাধকতা তার থাকে না। অর্থাৎ অতি নিম্নমানের রাস্তায় অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা নেওয়া চালক নিজেও বড্ড নিরাপত্তা ঝুঁকিতে গাড়ি চালান।যানজটে ব্যয়িত শ্রমঘণ্টা এবং পণ্য নষ্ট। ফলে একই পরিবহন (বাস, ট্রাক) দিয়ে চাঁদাবাজি এবং যানজটে ব্যয়িত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নির্দিষ্ট সময়ে বেশি ট্রিপ দিতে বাধ্য হন চালক। এতে করে এমনিতেই অনিরাপদ সড়কে যেনতেনভাবে ফিটনেসহীন গাড়ি চালিয়ে, একটানা অতি সময় ঘুমহীন শ্রান্তভ্রান্ত চালককে গন্তব্যে পৌঁছার আর্থিক, মানসিক ও স্বাস্থ্যগত তাড়নাগুলো তাড়িয়ে বেড়ায়। পরিবহনশ্রমিকেরা ব্যাপক গরম, দীর্ঘ যানজট, অধিক ট্রিপের বাধ্যবাধকতা, অনিয়মিত কিংবা স্বল্প আহার, মালিকের গালিগালাজ, যাত্রীর ভিড় ও ভাড়াসংক্রান্ত টানাপোড়েন, অধিক ভাড়া আদায়ের চাপে ফলে হররোজ লম্বা সময়ের অবসরহীন একটানা পরিশ্রমের ক্লান্তি দূর করতে ব্যাপকভাবে মাদক ও ইয়াবার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। সব মিলে আমাদের সড়ক প্রাণহানির এক সাক্ষাৎ উপকরণ। নাগরিক যেন জান হাতে নিয়ে যানে ওঠেন।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) একটি সমীক্ষা বলছে, দেশে ৫৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য, আর চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে ৩৭ শতাংশ। ঘণ্টায় মাত্র সাত কিলোমিটার গড় গতিবেগের রাজধানীতেও আশঙ্কাজনক হারে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, কোনো হিসাবেই এমন জ্যাম ও এমন নিম্নগতির রাস্তায় প্রাণহানি তৈরির মতো দুর্ঘটনা হওয়ার কথা নয়। আজকের অনিরাপদ সড়ক ও মৃত্যুর মিছিল বিচ্ছিন্ন নয় বরং বহু নৈরাজ্যের ফসল। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নৈরাজ্যতন্ত্র ও বেশুমার দুর্বৃত্তপনার কাছে সড়ক পরিবহন খাতের সব ব্যবস্থাপনা হেরে গেছে, তারই প্রতিচিত্র আমাদের রাস্তার মৃত্যুর মিছিলগুলো।ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব: টেকসই উন্নয়ন কর্মী। প্রকৌশলী। সলিউশন আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন নেদারল্যান্ডস। faiz.taiyeb@gmail.com
372,424
বিশেষ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ মার্চ ২০১৫, ০২:০৪
৩০ মার্চ ২০১৫, ১৬:৫৬
সিটি নির্বাচন,রাজনীতি,ঢাকা বিভাগ
null
আ.লীগ সরব, বিএনপি নীরব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/490108
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা গতকাল রোববার সরবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপিসহ ২০-দলীয় জোটের সমর্থক হিসেবে পরিচিত মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন একেবারেই নীরবে।বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্যে একজন ছাড়া কেউই নিজে উপস্থিত থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। স্ত্রী, সন্তান, আইনজীবী বা শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে দেখা গেছে, সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে যতটা উদ্দীপনা ছিল, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঠিক তার উল্টো জড়তা ও ভীতি কাজ করেছে। অবশ্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে কোথাও কোনো বিঘ্ন সৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক-উল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি-সমর্থক প্রার্থীরা হয়তো গ্রেপ্তার এড়াতে এটি একটি কৌশল হিসেবে নিয়েছেন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলে নিশ্চয়ই তাঁরা প্রকাশ্যে আসতে পারবেন।গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে স্থাপিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা নেওয়া হয় ঢাকা দক্ষিণের মনোনয়নপত্র। আর উত্তরের মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয় আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) ভবনে। দক্ষিণে মেয়র পদে ২৬ ও উত্তরে ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণে ৭০৫ ও উত্তরে ৬২৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।দক্ষিণের চিত্র: আওয়ামী লীগ-সমর্থক প্রার্থী সাঈদ খোকন মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলে হঠাৎ বদলে যায় নাট্যমঞ্চের ভেতর ও বাইরের এলাকা।আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও পুরান ঢাকার দিক থেকে কয়েক হাজার মানুষ নাট্যমঞ্চের আশপাশে জড়ো হন। শতাধিক মোটরসাইকেলে চড়ে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সাঈদ খোকন যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছিলেন, তখন ওই কক্ষেই অন্তত আওয়ামী লীগের ৫০ জন নেতা-কর্মী ছিলেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হিমশিম খায়। মহানগর নাট্যমঞ্চের মূল ফটকে পুলিশের সঙ্গে সরকারদলীয় কর্মীদের কয়েক দফা বচসা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। সাঈদ খোকনের পক্ষে মাঝেমধ্যে কর্মীরা স্লোগান শুরু করলেও নেতারা আচরণবিধির কথা বলে থামিয়ে দেন। নাট্যমঞ্চে সাঈদ খোকন পৌঁছার আগেই সাংসদ আবদুর রাজ্জাক ও ফজলে নূর তাপস এবং সাবেক সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। সাঈদ খোকন সেখানে উপস্থিত হন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজকে সঙ্গে নিয়ে।নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছে পাঁচজনকে নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আমি পাঁচজনকেই নিয়ে এসেছি। বাকিরা অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে এসেছেন। আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি।’দক্ষিণে আওয়ামী লীগের আর কোনো প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. সেলিম মনোনয়নপত্র কিনলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।বিএনপির পাঁচ প্রার্থী: দক্ষিণে মেয়র পদে বিএনপির চার নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে তাঁর আইনজীবী যুবদলের নেতা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালামের পক্ষে স্ত্রী ফাতেমা সালাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দীন আহমেদ পিন্টুর পক্ষে স্ত্রী নাসরিন আক্তার কল্পনা এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন নিজেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশারও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শিক্ষক নেতা সেলিম ভূঁইয়া মনোনয়নপত্র নিলেও জমা দেননি।আসাদুজ্জামান রিপন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ধরপাকড় করছে। প্রার্থীরা গ্রেপ্তার এড়াতে আসেননি। ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (সমান সুযোগ) সৃষ্টি হলে প্রার্থীরা মাঠে নামবেন। তা ছাড়া এখন তো প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ।দক্ষিণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় নেতাদের বাইরে মেয়র পদে আরও যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সিপিবি-বাসদ সমর্থিত বজলুল রশীদ ফিরোজ প্রমুখ।উত্তরের চিত্র: ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ৩০ জন মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন, বেলা একটা পর্যন্ত জমা দেন মাত্র তিনজন। কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ৮২৩ জন। বেলা একটা পর্যন্ত জমা দেন ১৪০ জন। এঁদের প্রায় সবাই সরকারি দলের সমর্থক।বেলা দুইটার পর প্রার্থী ও তাঁদের সঙ্গীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। বেলা তিনটার দিকে এনআইএলজি ভবন ও আশপাশে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকের ঢল নামে। এ সময় মনোনয়নপত্র জমা দিতে ভবনের ভেতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশকে কড়াকড়ি আরোপ করতে হয়। একজন প্রার্থীর সঙ্গে দুজনের বেশি ঢুকতে দেওয়া হয়নি।ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক মনোনয়নপত্র জমা দেন বেলা তিনটার দিকে। এ সময় তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ ও বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি একটি বড় দলের সমর্থন পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। এটা একটা বড় শক্তি।’বিএনপি-সমর্থক প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর পক্ষে তাঁর দুই ছেলে তাফসির আউয়াল ও তাজওয়ার আউয়াল মনোনয়নপত্র জমা দেন।তাফসির আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। এটা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। প্রার্থীদের কেউ মাঠে সক্রিয় আছেন, কেউ বা আদালতে ছুটছেন। নির্বাচন কমিশনকে পরিবেশ ঠিক করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।উত্তরে মিন্টুর পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁর ছেলে তাবিথ আউয়ালও। জানতে চাইলে তাবিথ প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ করে প্রার্থী হওয়ার কারণ কিছুটা কৌশলগত। কারণ, আগে প্রার্থিতা ঘোষণা করলে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়। আর বাবার প্রার্থী হওয়ার সঙ্গে তাঁর প্রার্থিতার সরাসরি কোনো যোগ নেই। বাবার মতো তিনি রাজনৈতিক দল-সমর্থিত প্রার্থী হবেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কারণে তাঁর বাবা শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হতে না পারলে এর একটা সুবিধা তো তিনি পাবেন।উত্তরে আরও যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ সারাহ বেগম কবরী, বিকল্পধারার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল, জাতীয় পার্টি-সমর্থিত বাহাউদ্দিন আহমেদ, সিপিবি-বাসদ-সমর্থিত আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, গণসংহতি আন্দোলন-সমর্থিত জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, এইচ এম এরশাদের সাবেক উপদেষ্টা ববি হাজ্জাজ, সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) শেখ শহিদুজ্জামান প্রমুখ।ঢাকা উত্তরে কাউন্সিলর পদে মোট ৬২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে সংরক্ষিত আসনে ১৩৫ ও সাধারণ আসনে ৪৯৪ জন। বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে ৪৮৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন।একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সাধারণভাবে সব প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওই ব্যতিক্রমী ব্যক্তি ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। এ ছাড়া কেউ মিছিল, শোভাযাত্রা কিংবা ব্যানার-ফেস্টুন বহন করেননি।তবে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের অনেককেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে। বিশেষ করে আয়কর রিটার্ন ও সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার প্রত্যয়নপত্র অনেকেরই ঠিকঠাক ছিল না। বিকেল পাঁচটার কিছুক্ষণ পর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠুভাবে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।প্রতি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী: দক্ষিণে প্রতিটি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আলতাফ হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছিলেন। তিনি জানালেন, ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ অন্তত সাতজন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একক প্রার্থী থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল থেকে সাংসদদের এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বেলাল হোসেন নামে ওই ওয়ার্ডের এক আওয়ামী লীগ নেতা বললেন, তিনি নিজে দুই প্রার্থীর সঙ্গে এখানে এসেছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোট গ্রহণ করা হবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।বিক্ষোভ: নির্ধারিত সময় পাঁচটার মধ্যে উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০-৪০ জনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেননি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এঁদের বেশির ভাগ যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মী। তাঁরা নারী কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য সন্ধ্যা পৌনে সাতটা পর্যন্ত মহানগর নাট্যমঞ্চে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে অবস্থান করেন এবং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু মিহির সারোয়ার তাঁদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেননি। তিনি কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর অনুরোধ জানান। পরে নারী নেত্রীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। অভিযোগ উঠেছে, দক্ষিণে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট পরে গিয়েও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ পান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম। তিনি শতাধিক কর্মী নিয়ে মিছিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যান। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশও তাঁদের বাধা দেয়নি। এ বিষয়ে জানতে মিহির সারোয়ারকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, সংরক্ষিত আসনের কিছু নারী প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের পরে এসে মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য পীড়াপীড়ি করেছিলেন। তবে আইন-কানুন বুঝিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা চলে যান।
127,103
পাবনা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ এপ্রিল ২০১৭, ০৬:১০
২০ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৫৭
-1
0
পাবনায় প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক ভিটা দখলমুক্ত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1151531
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে বাংলা সাহিত্যের চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক খ্যাতিমান লেখক প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক ভিটা দখলমুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম বিপুল কুমার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান। অভিযানে তিন একর জমির ওপর অবস্থিত বাড়িটি থেকে অবৈধ দখলদারদের ১৮টি কাঁচা-পাকা বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়। অভিযান শেষে মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বাড়িটিতে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে দখল করে রেখেছিল। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু এতে তাঁরা কর্ণপাত করেননি। সর্বশেষ অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য পরপর পাঁচবার নোটিশ দেওয়া হয়। শেষমেশ বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। প্রমথ চৌধুরী ১৮৯৯ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাতিজিকে বিয়ে করেন। তিনি ১৯৪৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতনে মারা যান। ১৯৪৭ সালের পর থেকে তাঁর হরিপুরের পৈতৃক বাড়িটি দখল শুরু হয়। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে একটি চক্র বাড়িটি দখলে নেয়। মামলায় হেরে গেলে চক্রটি দখল ছেড়ে দেয়। দীর্ঘদিন পর সেখানে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমিহীনেরা বসতবাড়ি গড়ে তোলেন।
312,450
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫০
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৩
রাজনীতি
0
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা বুধবার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/762232
১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে আটটায় তাঁর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে সভা আহ্বানের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল শনিবার এ সভা ডেকেছেন।দলীয় সূত্র জানায়, আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সম্মেলন সামনে রেখে দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির এ সভা আহ্বান করা হয়েছে।
199,488
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:৫৩
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:৫৫
ক্রিকেট,বাংলাদেশ,বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সিরিজ
null
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নেই পরিবর্তন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1579230
টসের আগে বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে ক্রাইস্টচার্চ। খেলা শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বৃষ্টি থামায় সেটা কেটে গেছে। টস জিতে বৃষ্টি ভেজা মাঠে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ মাঠে নামবে প্রথম ওয়ানডের একাদশ নিয়েই।মাশরাফির নেতৃত্বে দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশ:তামিম ইকবাললিটন দাসসৌম্য সরকারমুশফিকুর রহিমমোহাম্মদ মিঠুন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসাব্বির রহমানমোহাম্মদ সাইফউদ্দিনমেহেদী হাসান মিরাজমাশরাফি বিন মর্তুজামুস্তাফিজুর রহমান
390,620
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ১৮:৪৭
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ২২:২৯
-1
null
সালমানের হাতে ‘সিলভার বাটন’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/822991
জানা হয়ে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেটিও হয়ে গেল আজ। ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউবের দেওয়া পুরস্কার হাতে পেলেন অভিনেতা ও ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির। আজ সিডনিতে সালমানের হাতে এই পুরস্কারটি দিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে পুরস্কার হাতে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সালমান। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য।’ইউটিউবে যেকোনো চ্যানেলের এক লাখ সাবস্ক্রাইবার পার হওয়ার পরই ‘সিলভার বাটন’ পুরস্কার দিয়ে থাকে ইউটিউব। সালমান মুক্তাদিরের ‘সালমান দ্য ব্রাউন ফিশ’ চ্যানেলে বর্তমান প্রায় দুই লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। পুরস্কার পাওয়ার পর সিডনি থেকে সালমান নিজের অনুভূতি জানিয়ে বলেছেন, ‘আমার দারুণ লাগছে। মনে হচ্ছে দেশের জন্য কিছু করতে পারলাম। আমার পরিশ্রম আজ সার্থক মনে হচ্ছে।’সালমান মুক্তাদির ইউটিউবে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিওগুলো তৈরি করেন। এ ছাড়া নিয়মিত অভিনয়ও করেন সালমান।
217,853
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জুলাই ২০১৫, ১৭:২০
১৮ জুলাই ২০১৫, ১৮:৫৮
অপরাধ
null
কারাগারে বিএনপি নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে হবিগঞ্জে হরতাল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/580492
হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের ভেতরে এক খুনের আসামির হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ। তাকে উন্নত চিকিৎ​সার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন এবং আগামীকাল রোববার হবিগঞ্জ জেলায় হরতাল ডেকেছেন।জি কে গউছ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। গত বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।হবিগঞ্জ জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল নয়টায় কারাগারের ভেতরে পবিত্র ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে ইলিয়াস মিয়া নামের এক খুনের মামলার আসামি হঠাৎ করে গউছের ওপর হামলা চালান। এতে তাঁর পিঠে ক্ষত এবং রক্তক্ষরণ হয়। এ ঘটনার পর প্রথমে তাঁকে কারা হাসপাতালে চিকিৎ​সা দেওয়া হয়। পরে হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আনা হলে তাঁর পরামর্শে গউছকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি হবিগঞ্জ ছাড়ে।হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোর কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, তা জানাতে পারেননি। এ ঘটনায় কারা কোড অনুযায়ী হামলাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।এ দিকে জি কে গউছের ওপর হামলার খবর পেয়ে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা সেখানে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসলাম তরফদার তনু জানান, জি কে গউছের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল তাঁরা জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবেন।সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে গউছ ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া) আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
153,621
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০৫ এপ্রিল ২০১৪, ০০:২৮
০৫ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৩৭
সংগীত,বিনোদন
0
রূপম-সিধু মুখোমুখি
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/184827
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হলে উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। কলকাতার দুই জনপ্রিয় ব্যান্ড ক্যাকটাস ও ফসিলের দুই প্রধান রূপম ইসলাম ও সিধুর অহংবোধের ‘যুদ্ধে’ প্রাণ ওষ্ঠাগত নতুন পরিচালক হূষিকেশ মণ্ডলের। হূষিকেশ তাঁর নতুন ছবি অচেনা বন্ধুত্ব-এ কলকাতার ব্যান্ডগুলোর পরিচিত মুখগুলোকে একসঙ্গে আনার পরিকল্পনা করেছিলেন। এতেই বেধেছে ঝামেলা।ছবির মূল সংগীত পরিচালক নীল ও সাকি। ‘ডানা দাও’ শিরোনামে একটি গান সাকি আর সিধু মিলে বানিয়েছেন। রূপম যখন জানতে পারেন, এই গান সিধুর করা, তক্ষুনি বেঁকে বসেন। সিধুর গানে কণ্ঠ তিনি মেলাবেন না। শেষ মুহূর্তে এসে এই জটিলতায় বিপাকে পড়েছেন হূষিকেশ। বললেন, ‘আমি তরুণ পরিচালক। কোনো ব্যক্তিগত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে চাই না। কিন্তু বাস্তবতা সত্যিই হতাশাজনক।’ টিএনএন।
63,638
আবু তাহের, ফেনী
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৬
০৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৮
আমার চট্টগ্রাম
0
বিদ্যালয়ে পানি, পরীক্ষা নিয়ে ভাবনা শিক্ষার্থীদের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/594514
বানভাসি মানুষজন আশ্রয় নেওয়ায় বন্ধ বিদ্যালয়। তাই ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী শামসুন নাহারের বাড়িতে বসেই দিন কাটছে। অথচ সামনে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিঘ্ন ঘটছে পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও। শামসুন নাহারের মতো ফেনী জেলার অনেক শিক্ষার্থী এখন বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় কোমেনের কারণে জেলার বহু এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় ও বানভাসি মানুষজনকে আশ্রয় দিতে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৬২টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে আছে ফেনীর দুটি ও দাগনভূঞা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যার কারণে দাগনভূঞা উপজেলার ৪০টি প্রাথমিক ও ১৩টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। অপর দিকে ফেনী সদর উপজেলায় বন্ধ আছে ছয়টি প্রাথমিক তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা ফেরদাউস বলেন, সম্পূর্ণ মানবিক কারণে বিদ্যালয়ে বন্যার্ত মানুষজনকে থাকার জন্য আশ্রয় দিতে হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকেও এ বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।দাগনভূঞার রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া জানান, তাঁর ইউনিয়নে ১২টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার্ত অনেক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন। দাগনভূঞা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জগদীশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, উপজেলায় ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সেগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাতটিতে বানভাসি মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি নেমে গেলে দ্রুত বিদ্যালয়গুলো আবার খুলে দেওয়া হবে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. জাহাঙ্গীর জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় জেএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে কিছুটা হলেও ব্যাঘাত ঘটছে। পানি নেমে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আবার পাঠদান শুরু হবে। জেলা প্রশাসক মো. হুনমায়ূন কবীর খোন্দকার বলেন, বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। পানি নেমে গেলে বন্যার্ত মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাবে। অল্প সময়ের মধ্যে বন্ধ বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে।
158,023