author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৭ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:৪২ | -1 | 0 | শরণার্থীশিবিরের পাশ থেকে রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1330846 | মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা একজন হিন্দু শরণার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম রবীন্দ্র পাল। উখিয়ায় শরণার্থীশিবিরের পেছনের একটি খাল থেকে গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।হিন্দু শরণার্থীশিবিরের কয়েকজন প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, গরু কিনবে বলে টাকা দেওয়ার কথা বলে গত রোববার শরণার্থীশিবিরের লোকজন হিন্দু শরণার্থীশিবির থেকে ১০ জনকে মধুরছড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের মারধর করে সব কেড়ে নেওয়া হয়। ফিরে আসেন আটজন। কিন্তু নিখোঁজ থাকেন দুই ভাই রবীন্দ্র ও নিরঞ্জন পাল। আজ রবীন্দ্রর মৃতদেহ পাওয়া গেলেও নিরঞ্জন এখনো নিখোঁজ। | 339,264 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ অক্টোবর ২০১৪, ০০:৪৯ | ০১ অক্টোবর ২০১৪, ০০:৫০ | -1 | 0 | বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্বীকার করলে নাগরিকত্ব পাবে রোহিঙ্গারা! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/334552 | মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায় রোহিঙ্গারা নিজেদের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে স্বীকার করে নিলে দেশটির নাগরিকত্ব দেওয়া হবে—এমন বিতর্কিত পরিকল্পনার কথা এই প্রথম দেশটির পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে জানানো হলো। গত সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মাউন লুইন জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানান।সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে উনা মাউন লুইন বলেন, একটি কার্যকর পরিকল্পনা চূড়ান্তের পর্যায়ে আছে। শিগগিরই এটি চালু করা হবে।পরিকল্পনার খসড়া অনুলিপি সূত্রে রয়টার্স জানিয়েছে, দ্য রাখাইন স্টেট আউটলাইন প্ল্যান নামক পরিকল্পনার একটি অংশে রোহিঙ্গারা দেশের নাগরিক কি না, যাচাই করতে একটি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে। আর এর ফলে কয়েক পুরুষ ধরে মিয়ানমারে থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা বলে ধরে নেওয়া হবে। পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, নিবন্ধন করতে রাজি না হওয়া রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী শিবিরে রাখা হবে। পর্যাপ্ত কাগজপত্র না থাকা রোহিঙ্গাদেরও জায়গা হবে সেখানে।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো আশঙ্কা করছে, এই বিতর্কিত পরিকল্পনার কারণে সংখ্যালঘু হাজার হাজার রোহিঙ্গাকাকে জোরপূর্বক আটক শিবিরে পাঠানো হতে পারে।বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গার অনেকেই দেশহীন, অনেকের বসবাস রাখাইন প্রদেশে। ২০১২ সালে রাখাইনের বৌদ্ধদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। রয়টার্স। | 98,014 |
মাশহারুল হক | education | শিক্ষা | ০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:০১ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:০৩ | স্বপ্ন নিয়ে,শিক্ষাঙ্গন | 0 | পঁচিশে পৌঁছে... | http://www.prothom-alo.com/education/article/729199 | শুরুটা ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর। ৮০ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক নিয়ে খুলনা শহর থেকে কিছুটা দূরে ছোট অবকাঠামো নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। ২০১৫ পেরিয়েছে। মাঝখানে কেটে গেছে ২৫ বছর। সে সময়ে রোপণ করা ছোট্ট চারাগাছ আজ মহিরুহে পরিণত হয়েছে। এখন প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন দুই শতাধিক শিক্ষক!বলছি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। ২৫ বছর পূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসব ২০১৫। সেই সঙ্গে যাত্রা শুরু হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের। ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানটি ঘটা করে পালনের উদ্দেশ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার এই মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। ফলে রজতজয়ন্তীর সঙ্গে যুক্ত হলো পুনর্মিলনী উৎসবও। অনুষ্ঠানের সহযোগী ছিল প্রথম আলো।ক্যাম্পাসে নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের আনাগোনা শুরু হয় অনুষ্ঠানের আগের দিন থেকেই। বিকেলে হাদি চত্বর, তপন দার দোকান, সাইদুল ভাইয়ের দোকানসহ খান জাহান আলী হল-সংলগ্ন ইসলামনগর রোড সরগরম হয়ে ওঠে প্রবীণদের পদচারণে। সবখানেই চলছিল আড্ডা, গল্প আর স্মৃতিচারণা। কোথাও কোথাও নবীনেরা ঘিরে ধরেছেন পুরোনোদের। আড্ডার মাঝেই চলছিল খাওয়াদাওয়া। নবীন-প্রবীণ সবাই যেন এমন একটা উৎসবমুখর সময়েরই অপেক্ষায় ছিলেন।বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দেখা যায় সেই ছাত্রজীবনের মতো একসঙ্গে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠতে। তাঁরা এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, সেলফি তুলছিলেন। পুরোনো ‘ক্যাম্পাস তারকা’রা আগের মতোই মঞ্চ মাতিয়েছেন।সন্ধ্যার পর ছিল অন্যতম মূল আকর্ষণ মাইলস ব্যান্ডের কনসার্ট। ছাত্র-শিক্ষক, নবীন-প্রবীণ সবাই মেতে উঠেছিলেন গানের সুরে। যে শিক্ষকদের সব সময়ই একটু কঠোর স্বভাবের মনে হতো, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে বাদ পড়েননি তাঁরাও! অংশ নিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। পরে রাতের আকাশে ফানুস উড়িয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠানিক পর্বের।রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের মতো উৎসবটাও যেন ‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ!’ বর্তমান, পুরোনো শিক্ষার্থীরা গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ালেন ক্যাম্পাসের এখানে-ওখানে। সবাই যেন মনে মনে বলছিলেন, রাতটা যেন না ফুরায়, উৎসব যেন শেষ না হয়...! | 189,048 |
প্রতিনিধি, পিরোজপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ মার্চ ২০১৯, ১৮:১২ | ০৩ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৫ | সরকার,বরিশাল বিভাগ,পিরোজপুর,শিক্ষা,নৈতিক শিক্ষা | null | ‘আগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1581585 | গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। এরপর রাজনীতির চর্চা। আজ শনিবার দুপুরে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘জীবনকে বিকশিত করতে হলে নিজেকে শিক্ষায় বিকশিত করতে হবে। আমরা হয়তো রাজনীতির কথা বলছি, প্রশাসনের কথা বলছি। কিন্তু জাতি গড়ার হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষকদের যে ভূমিকা, এই ভূমিকা অনন্য-অসাধারণ। এ কারণে আমি মনে করি একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হলে, দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হলে, শিক্ষিত জাতির কোনো বিকল্প নেই। একটি সন্তান শিক্ষিত হলে সে অপরাধ করতে পারে না, মাদকাসক্ত হতে পারে না, সন্ত্রাস করতে পারে না, দুর্নীতি করতে পারে না। আদর্শ জাতি গড়তে হলে শিক্ষিত জাতির কোনো বিকল্প নেই। সে শিক্ষা হতে হবে সুশিক্ষা, সে শিক্ষা হতে হবে নৈতিকতা সমৃদ্ধ ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ। যে শিক্ষা অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যায়, সে শিক্ষা শিক্ষা নয়।’মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি নিজে ভালো হতে চাই। আমি অন্যদের বলি, আসুন আমরা সবাই মিলে ভালো হই।’ অভিভাবকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগ করুন সন্তানদের পেছনে। দালানকোঠা করার দরকার নেই। সন্তানদের শিক্ষিত করুন। এটাই হবে বড় বিনিয়োগ।’পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির ও পিরোজপুর পৌর সভার মেয়র হাবিবুর রহমান। | 392,265 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৫৩ | ১৩ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৫৩ | রাজশাহী বিভাগ | null | ফটোকপির সঙ্গে প্রায় মিলে গেল প্রশ্নপত্র | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/191557 | হাতে লেখা যে প্রশ্নমালা নিয়ে নগরের ফটোকপির দোকানগুলোতে আগের দিন বিকেলে ভিড় করেছিলেন শিক্ষার্থীরা, গতকাল শনিবার পরীক্ষার হলে সেই প্রশ্নগুলো প্রশ্নপত্রে পেয়েছেন তাঁরা। রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি পরীক্ষার হাতে লেখা প্রশ্ন সংগ্রহ করতে শুক্রবার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফটোকপির দোকানে ভিড় করতে দেখা গেছে।বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, শুক্রবার সকালে অনেক শিক্ষার্থী ফটোকপির দোকানে এক থেকে তিন হাজার টাকায় কিনেছেন প্রশ্নমালা। দুপুরের পর তা ১০০ থেকে ২০০ টাকায় এবং সন্ধ্যার দিকে মাত্র দুই টাকায় পাওয়া গেছে।একজন সচেতন অভিভাবক গত শুক্রবার বিকেলে প্রশ্নের একটি কপি নিয়ে রাজশাহী প্রথম আলো কার্যালয়ে আসেন। তিনি বলেন, তাঁর ভয় হচ্ছে এই প্রশ্নই হয়তো পরীক্ষায় মিলে যাবে। বিষয়টির দিকে নজর রাখার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। পরে খোঁজ নিয়ে নগরের বেশির ভাগ ফটোকপির দোকানেই ওই প্রশ্নের কপি ফটোকপি করতে দেখা যায়।গতকাল শনিবার সকাল নয়টায় এই পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরই ফটোকপির প্রশ্ন মিলে গেছে বলে শহরে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখা গেছে, আগের দিনের ফটোকপির প্রশ্নের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নের মিল রয়েছে। তবে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের নম্বরের ক্রমিকগুলো এলোমেলো করে দেওয়া হয়েছে। যেমন মূল প্রশ্নে যেটি ৫ নম্বর প্রশ্ন, ফটোকপিতে সেটি ৪ নম্বর। আবার মূল প্রশ্নে যেটি ৪ নম্বর ফটোকপিতে ৩ নম্বর। ফটোকপির প্রশ্নপত্রে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর কাছে চিঠি ও ‘গ্লোবালাইজেশন’ নিয়ে একটি রচনা লেখার কথা বলা হয়েছিল। এগুলোও মূল প্রশ্নের সঙ্গে হুবুহু মিলে গেছে। পরীক্ষা চলাকালে গতকাল রাজশাহী কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অনেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরপত্র জমা দিয়ে বাইরে চলে এসেছেন। তাঁদের কয়েকজন জানান, তাঁরা যে প্রশ্ন পেয়েছিলেন, সেটির সঙ্গে মূল প্রশ্নপত্র মিলে গেছে।রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি টের পান। তখনই তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে বিষয়টি টেলিফোনে জানান। তিনি (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, যে প্রশ্ন বাইরে পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের প্রশ্নের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। | 65,485 |
এম জসীম উদ্দীন, বরগুনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ মে ২০১৬, ০১:১৩ | ২৫ মে ২০১৬, ০১:১৪ | বরগুনা,বিশাল বাংলা,বরিশাল বিভাগ | 0 | বরগুনায় ভেসে গেছে সাড়ে তিন হাজার ঘের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/867700 | ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে বরগুনায় অন্তত সাড়ে তিন হাজার মাছের ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে চলতি আউশ ও রবি ফসলের ৯০ শতাংশ খেত ও বীজতলা। মৎস্য ও কৃষি বিভাগের এই তথ্য দিয়েছে।জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তালতলীর মাছচাষিদের। এ উপজেলায় অন্তত দেড় হাজার মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া বামনা উপজেলায় ৩০০, পাথরঘাটা, বেতাগী, আমতলী ও বরগুনা সদরে আরও দেড় হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় রায় বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের একটি প্রাথমিক তালিকা করেছি। পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে আরও সময় লাগবে।’কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় ৫ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমির আউশ খেত ও ২ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমির বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া ১৪০ হেক্টর জমির তিল, ১ হাজার ৩৩০ হেক্টর সবজি খেত, ৪০০ হেক্টর কলা-বাগান, ৪৩০ হেক্টর পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা মোট আবাদের ৯০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। জেলায় আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৬৪ হেক্টর। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।তালতলীর ছোট বগি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, গাবতলী, চরপাড়া ও মৌপাড়া গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মন্নান বয়াতি বলেন, ‘তিন একর জাগায় আউশ দেছালাম। পানিতে সব পইচ্চা গ্যাছে। খ্যাত-খামার-পুকুইরের মাছ সব শ্যাষ। নতুন কইরা বীজ করমু বীজ পামু কই, আর নতুন বীজতলা কইরা রোপণেরও সময় নাই।’পার্শ্ববর্তী পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের বড়পাড়া, হাড়িপাড়া, হুলাটানা; কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চবাড়িয়া, আলীরবন্দর, ঝাড়াখালী; নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙা, নলবুনিয়া, তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামেও একই পরিস্থিতি।কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাড়াখালী গ্রামের ঘেরের মালিক হাফিজুল সিকদার বলেন, ৪০ একর জমিতে মাছের ঘের করেছিলাম। টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে সব মাছ ভেসে গেছে। এতে অন্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধারদেনা ও ঋণ এনে এই ঘের করেছিলাম। এখন কী করব, ভেবে কূল পাচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, এ ইউনিয়নের অন্তত ১২০টি ঘেরের মাছ এভাবে ভেসে গেছে।বরগুনা সদরের গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের কৃষক আবুল হাওলাদার বলেন, ‘৫০ শতক জমিতে আউশের বীজতলা করেছিলাম। সব পইচ্চা গ্যাছে। এহন কী দিয়া নতুন বীজতলা করমু, সেই চিন্তায় ঘুম আয় না।’কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের বরগুনা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সাইনুর আজম খান বলেন, ‘জেলার ৯০ ভাগ ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত। আমরা প্রাথমিকভাবে এ হিসাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পেতে আরও কিছু সময় লাগবে। জলাবদ্ধতা আরও দু-তিন দিন স্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বাড়বে।’ | 226,028 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:৩১ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:০৭ | এশিয়া | null | মিয়ানমারকেই সমর্থন জানাল চীন | http://www.prothom-alo.com/international/article/1321066 | চীন বলেছে, ‘নিরাপত্তা স্থিতি’ রক্ষায় মিয়ানমারের প্রচেষ্টায় তাদের সমর্থন রয়েছে। সেনা অভিযানের কারণে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসায় এই সহিংসতার অবসানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। যুক্তরাজ্যের পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবরে এ কথা জানানো হয়। গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সহিংসতা চলছে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে চীন। তিনি বলেন, ‘রাখাইনে মিয়ানমার সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমাদের সমর্থন আছে। আমরা আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব সেখানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে আসবে।’জেং শুয়াং আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, জাতীয় উন্নয়নে স্থিতিশীলতার সুরক্ষায় মিয়ানমার যেভাবে কাজ করছে, এ প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন থাকা উচিত।’মিয়ানমার সরকার বলছে, রাখাইনে সহিংসতায় ৪০০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবে জাতিসংঘ কয়েক দিন আগে বলেছে, রাখাইনে সহিংসতায় ১০০০ বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে।জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান রাখাইন প্রদেশের সহিংসতার ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে মিয়ানমারকে সতর্ক করে দিয়েছে। এর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এ ঘটনায় মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছেই। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিন্দা জানিয়ে আসছে। সহিংসতার প্রতি নিন্দা জানাতে সুচির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন নোবেলজয়ীরা। সুচি বলছেন, তাঁরা ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন। | 337,662 |
তারিকুর রহমান খান | life-style | জীবনযাপন | ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৫:৩৪ | ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৫:৪৮ | নকশা,খাবারদাবার | null | ঢাকায় ব্রাজিলের খাবার | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1476196 | ২০ এপ্রিল ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছিল ‘ব্রাজিলিয়ান উইক ফুড অ্যান্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল’। ফুটবলের রাজা পেলের দেশ থেকে আগত দুজন শেফ অতিথিদের জন্য তৈরি করেছেন মুখরোচক নানা খাবার। রকমারি খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলিয়ান চিজ বল, পিকানা মিট উইথ কাসাভা ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ভিনেগার সস, বানানা উইথ সিনেমন, মিট উইথ সুইট পটেটো, ব্রাজিলিয়ান নাট উইথ চকলেটসহ মজাদার সব খাবার। কথা হয় রাজধানী উত্তরার বাসিন্দা সুমন ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল মানেই আমাদের কাছে ফুটবল। ফুটবলের দেশ হিসেবেই ব্রাজিলকে এত দিন চিনতাম। কিন্তু এ দেশের খাবারও যে এত মজাদার, এটা এই আয়োজনে এসে বুঝলাম।’ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ান উইক ফুড অ্যান্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে এসেছিলেন ব্যবসায়ী মুমিনুর রহমান। পেলে, জিকোর নাম শুনে এবং রোমারিও, বেবেতো ও নেইমারদের খেলা দেখেই ব্রাজিলকে এত দিন সাপোর্ট করতাম। আজ দেশটির খাবার আর গান শুনে দেশটির প্রেমে পড়ে গেলাম। একেক জায়গার খাবার একেক রকম হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু ব্রাজিলের খাবার সত্যিই একটু অন্য রকম আর স্বাদও লোভনীয়।আয়োজনে ব্রাজিলের সংগীতশিল্পী ইন্ডিয়ানা নোমার বিশেষ সংগীতানুষ্ঠানও আগতদের মাতিয়ে রেখেছিল। পুরো হোটেলেই ছিল ব্রাজিলের সংস্কৃতির আমেজ।এই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও টাবাজারা অলিভিয়েরা জুনিয়ার, ডেপুটি হেড অব মিশন জুলিও সিজার সিলভা এবং ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের চেয়ারম্যান মুসলেহ আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক শাহিদ হামিদ এফআইএইচ প্রমুখ।২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। খাওয়া যাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গ্র্যান্ডডিয়স রেস্টুরেন্টে। | 361,922 |
নওগাঁ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৭, ০১:৪৮ | ১৬ এপ্রিল ২০১৭, ০১:৫১ | নওগাঁ,রাজনীতি | 0 | নওগাঁয় সরকারি দিঘি দখল করে স্থাপনা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1146601 | নওগাঁ সদর উপজেলার রামরায়পুর গ্রামে একটি সরকারি দিঘির জায়গা দখল করে কিছু আধা পাকা ঘর ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। গড়ে তোলা হচ্ছে আরও কিছু স্থাপনা। দিঘিটি দখলমুক্ত করতে স্থানীয় ৪৪ জন ব্যক্তি ১০ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দিঘির অবস্থান উপজেলার শৈলগাছি ইউনিয়নের রামরায়পুর গ্রামে কালীতলা-শৈলগাছি সড়কের পাশে দিঘির পাড় বাজার এলাকায়। ৬ দশমিক ৭৫ একর জলাবিশিষ্ট দিঘিটি সরকারি রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি। কয়েক বছর ধরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী পুকুর পাড় ও জলা ভরাট করে আধা পাকা ঘর ও ভবন নির্মাণ করছেন। এর আগে ২০১২ সালে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এসব ঘর ও ভবন ভেঙে দেয়। সম্প্রতি প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আবারও দিঘি দখল করে দোকানপাট ও ভবন গড়ে তুলেছেন। আরও কিছু স্থাপনা নির্মাণাধীন।১১ এপ্রিল সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম পাশে দিঘির প্রায় ১০-১৫ হাত ভেতরে মাটি ভরাট করে আরও দুটি স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। পশ্চিম পাশে বিশাল অংশজুড়ে রাস্তাসংলগ্ন দিঘির জায়গা দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান ঘর গড়ে তোলা হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল হোসেন, তাজ কামরুল, বাবুল আখতার, সিরাজুল ইসলামসহ ১০-১২ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক যুগ ধরে দৈনন্দিন কাজে এলাকাবাসী এ দিঘির পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু কয়েকজন প্রভাবশালী দিঘির জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এর বেশির ভাগই দোকান ঘর হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় আদম আলী ও অজিত কুমারসহ ১৫-২০ জন এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছেন।আদম আলী বলেন, ‘আমি একা নই, এখানে আরও অনেকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দিঘির জায়গায় দোকান ঘর তৈরি করেছে। প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে শুধু আমারটা নয়, সবার স্থাপনাই ভাঙা পড়বে।’ অজিত কুমার বলেন, ‘দিঘির পাড়ে রাস্তার সঙ্গে লাগানো আমার একটি ছোট দোকান আছে। আমি তো অন্যের মতো দিঘি ভরাট করে বিল্ডিং করিনি। প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে আমার দোকান ভাড়া দেওয়া আছে। এত দিন যখন কিছু হয়নি, এবারও কিছু হবে না।’দিঘিটি ২০১৬ সাল থেকে তিন বছরের জন্য ইজারা দেওয়া আছে রামরায়পুর গোলাপ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে। সমিতির সভাপতি রমজান আলী বলেন, ‘বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকার চুক্তিতে আমরা দিঘির ইজারা পেয়েছি। ৬ দশমিক ৭৫ একর বা প্রায় ২১ বিঘা জলার কথা বলে ইজারা নিলেও দিঘির অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে। এখন এটি ১৫ বিঘার বেশি হবে না। যেভাবে দিঘি দখল হয়ে যাচ্ছে, এটা থামানো না গেলে পুরো দিঘিই দখল হয়ে যাবে।’শৈলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর মণ্ডল বলেন, ‘সরকারি জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণকারী চক্রের (দখলদার ব্যক্তিরা) মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের লোক আছে। আমরা আশা করব, প্রশাসন অন্তত নিরপেক্ষ থেকে দিঘি দখলমুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমীরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে ১১ এপ্রিল ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে সার্ভেয়ার (জরিপকারী) দিয়ে দিঘির জায়গা পরিমাপ করে অন্তত ৩০-৩৫টি অবৈধ স্থাপনা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।’ | 311,693 |
শাহ আলম, চুয়াডাঙ্গা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:০৭ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:০৮ | চুয়াডাঙ্গা,খুলনা বিভাগ | 0 | রেক্সোনাদের সামনে এখন কঠিন বাস্তবতা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1131196 | কচিমুখের মেয়েটির বয়স বড়জোর ১৩ বছর। নাম রেক্সোনা। আঙুলের কর গুনে গুনে জানাল, ৫ মাস ২৭ দিন আগে অভিভাবকদের ইচ্ছায় তার বিয়ে হয়েছিল শান্ত আহমেদের (১৮) সঙ্গে। তখন সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। স্বামী-সংসার কী, তা বুঝে ওঠার আগেই এই কিশোরীর জীবনে নেমে এসেছে অন্তহীন কান্না।রেক্সোনার স্বামী শান্ত আহমেদ সেই ১৩ হতভাগার একজন, যাঁরা গত ২৬ মার্চ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। নিহত ১২ জনেরই বাড়ি উপজেলার বড় বলদিয়া গ্রামে। প্রতিটি পরিবারের বর্তমান কাহিনি কমবেশি একই রকম। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব তারা। গত ২৯ মার্চ সরেজমিনে পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া যায়।নিহত হাফিজুর রহমানের নিজস্ব ভিটেমাটিও ছিল না। গোলাম ফারুক মালিতা নামে এলাকার একজনের জমিতে পাটকাঠির বেড়ার ওপর টিনের ছাপরা তুলে পরিবার নিয়ে বাস করতেন। কাজ না করলে চুলায় হাঁড়ি উঠত না। সেই কাজের জন্য বের হয়েই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়সী এই যুবকের। স্বামীর অকালমৃত্যুতে স্ত্রী আকলিমা খাতুন (২৬) পড়েছেন অথই সাগরে।আকলিমা বলেন, তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে রাকিব হাসান (১১) ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে সিয়াম হাসান (৬) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। স্বামীর নিজস্ব ভিটেমাটি না থাকায় এখন দুই ছেলেকে নিয়ে কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না।বয়স যখন চার, তখন সোহান আলীর মা শাহানাজ বেগম মারা যান। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এই কিশোরের বয়স এখন ১৪ বছর। এত দিন বাবা বিল্লাল হোসেনের স্নেহে বেড়ে উঠছিল। সড়ক দুর্ঘটনায় বিল্লালের মৃত্যুর পর সোহানকে নিয়ে দিশেহারা দাদি দাসীরণ নেছা (৮০)। পাঁচ মেয়ের পরে ওই একটাই ছেলে ছিল এই বৃদ্ধার।বড় বলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মেহেরপুর সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তর (বাংলা) শ্রেণির ছাত্র মনিরুল ইসলাম বললেন, ২৬ মার্চের দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারের গল্পই এমন। আর তাঁদের প্রত্যেকেই সৎ ছিলেন। গ্রামটি ভারত সীমান্তঘেঁষা। এলাকার অনেকেই চোরাচালানি করে অর্থ কামাচ্ছেন। কিন্তু চরম টানাটানির মধ্যে থাকলেও এসব মানুষ সেই অসৎ পথে পা বাড়াননি। তাঁরা দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন।বড় বলদিয়া গ্রামে শ্রমিকদের দৈনন্দিন মজুরি ১৪০ টাকা। এ কারণে আলমডাঙ্গার মুন্সীগঞ্জে সড়ক নির্মাণের কাজে যোগ দিয়েছিলেন হতাহত ব্যক্তিরা। ঘটনার দিন ভটভটিতে চড়ে সেখানেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ কাজে দৈনিক মজুরি পেতেন ২০০ টাকা। দৈনিক ১২ ঘণ্টা অমানবিক পরিশ্রম করতেন। ভোরবেলায় বাড়িতে বসে খাওয়ার সময়ও থাকত না। বাসি-পান্তা ভাত গামলায় বেঁধে নিয়ে ভোরে রওনা হতেন। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রাতে বাড়ি ফিরতেন।শুধু নিহত ব্যক্তিদের নয়, আহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোও এখন এক চরম সংকটের মুখোমুখি। তিন বেলা খাবার জোটানো নিয়ে যেমন দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা, তেমনি অসুস্থ প্রিয়জনের চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁদের। এ ছাড়া কয়েকটি পরিবারে রয়েছে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া সন্তান। তাদের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার।বড় বলদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইউসুফ আলী বলেন, ওই পরিবারগুলোর দুজন এ বছর তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার তিতুমীর কলেজে একজন স্নাতক শ্রেণিতে পড়েন। এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন। এদের পড়ালেখা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। পরিবারগুলো সত্যিকার অর্থেই মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।দামুড়হুদার ওই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রথম আলোয় গত ২৮ মার্চ ‘দিনমজুরদের রক্তে লাল পিচঢালা কালো পথ’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। | 308,797 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪২ | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪৪ | বিনোদন,মঞ্চ | 0 | আজ থেকে জামালপুরে আট দিনের নাট্যোত্সব | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/837919 | ‘জ্বেলে দিয়ে যাই আঁধারবিনাশী আলো’ স্লোগান নিয়ে জামালপুরের নাট্যদল থিয়েটার অঙ্গন আয়োজন করেছে ‘অঙ্গন নাট্যোত্সব-২০১৬’। আজ শনিবার থেকে আট দিনের এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে জামালপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। উৎসব শুরু হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায়। এতে ঢাকা, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জের বেশ কয়েকটি নাটকের দল অংশ নেবে। আজ উদ্বোধনী দিনে ঢাকার দেশ নাটক মঞ্চস্থ করবে দর্পণে শরৎশশী। এরপর একে একে থিয়েটার অঙ্গন সঙ রঙ, সিরাজগঞ্জের নাট্যাধার বিষাদ সিন্ধু, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির রেপার্টরি নাট্যদলের (ঢাকা) মুল্লুক, নাট্যনীড় আমার স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের ইতিকথা, অমৃত থিয়েটার এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়, ঢাকার দৃষ্টিপাত কয়লা রঙের চাদর ও বঙ্গলোক রূপচাঁন সুন্দরীর পালা মঞ্চস্থ করবে। এ ছাড়া উত্সবের সমাপনী দিনে দেওয়া হবে ‘আবদুল্লাহ আল–মামুন নাট্য পদক-২০১৬’। এ ছাড়া থাকছে নাটকবিষয়ক সেমিনার ও থিয়েটার আড্ডা। | 222,881 |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জুলাই ২০১৭, ০১:২৩ | ১৯ জুলাই ২০১৭, ০১:২৪ | রাজনীতি | 0 | নতুন কমিটি দিতে বললেন সিটি মেয়র | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1257086 | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় নগর ভবনের মেয়র কার্যালয়ে আ জ ম নাছিরের সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা। বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মশিউর রহমান ও উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন।বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মো. হোসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য নতুন কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।এদিকে একই বিষয় নিয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন সহসভাপতি মশিউর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থগিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৫ সালের ২০ জুলাই। বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষের কারণে চলতি বছরের ৪ মে কমিটি স্থগিত করা হয়। এর আগেও পাল্টাপাল্টি সংঘাতে লিপ্ত হওয়ায় ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিও একবার এই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নতুন কমিটিদিতে বললেনসিটি মেয়র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় নগর ভবনের মেয়র কার্যালয়ে আ জ ম নাছিরের সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা। বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মশিউর রহমান ও উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন।বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মো. হোসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য নতুন কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।এদিকে একই বিষয় নিয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন সহসভাপতি মশিউর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থগিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৫ সালের ২০ জুলাই। বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষের কারণে চলতি বছরের ৪ মে কমিটি স্থগিত করা হয়। এর আগেও পাল্টাপাল্টি সংঘাতে লিপ্ত হওয়ায় ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিও একবার এই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। | 327,334 |
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:২৬ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০৩ | অপরাধ,শরীয়তপুর,বিশাল বাংলা | 0 | পদ্মা নদীর বেড়া অপসারণ শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/460222 | শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে পদ্মা নদীর আটটি স্থানে স্থাপন করা বাঁশের বেড়া অপসারণ গত রোববার শুরু হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মীরা চেয়ারম্যান স্টেশনঘাট এলাকার দুটি বেড়া অপসারণ করেছেন।ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, কোস্টগার্ডের সহায়তায় বেড়াগুলো অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এ সময় মালিকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পদ্মা নদীতে চেয়ারম্যান স্টেশনঘাট এলাকায় দুটি বেড়া স্থাপন করেন জিন্নাত আলী প্রধানিয়া ও হাসান আলী; গায়েন বাজারে দুটি বেড়া স্থাপন করেন কাশেম মাল ও দেলোয়ার মিজি; গালিয়ার চরে দুটি বেড়ার মালিক কুদ্দুস প্রধানিয়া ও জামাল দর্জি; বালিয়ার চরে স্থাপন করেন শাজাহান বকাউল এবং রাজরাজেশ্বরে বেড়া স্থাপন করেন ইউসুফ ব্যাপারী।গত শুক্রবার এ বিষয়ে ‘পদ্মায় আবারও বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।গত বছর এই এলাকায় আটটি বেড়া স্থাপন করা হয়েছিল। তখনো এ নিয়ে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। স্থানীয় প্রশাসন তখন বেড়া স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁরা আবার বেড়াগুলো স্থাপন করেন। | 118,047 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুলাই ২০১৬, ১৪:৪০ | ২৩ জুলাই ২০১৬, ১৪:৪৭ | রাজধানী (জাতীয়),দুর্ঘটনা | 0 | বারান্দা থেকে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/922924 | রাজধানীর নীলক্ষেতে চারতলার বারান্দা থেকে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আবদুল ওহাব খান (৫৮)। আজ শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কলোনির ২২/ও নম্বর ভবনে এ ঘটনা ঘটে। ওহাব খানের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকূল এলাকায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার কর্মচারী ছিলেন।ওহাবের ভাই মো. ইউসুফ লিংকন বলেন, তাঁর ভাই পঞ্চম তলার ভবনের চারতলার বারান্দায় আজ সকাল ছয়টার দিকে ফুলগাছে পানি দিতে যান। এ সময় বারান্দা থেকে তিনি নিচে পড়ে যান। বারান্দায় গ্রিল ছিল না। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল নয়টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ওহাবের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। | 242,490 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২০ | ১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২২ | আরব বিশ্ব | 0 | ধ্বংসের বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ওপিসিডব্লিউ | http://www.prothom-alo.com/international/article/75310 | সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নজরদারি সংস্থা দ্য অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস (ওপিসিডব্লিউ) আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবে। সংস্থাটি গত শুক্রবার এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। সেদিনই ছিল ওই পরিকল্পনা প্রকাশের শেষ দিন।সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার মতৈক্য অনুযায়ী ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দেশটির সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার কথা।ওপিসিডব্লিউর ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপদ ও দ্রুততম সময়ে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করতে এগুলো দেশটির বাইরে নিয়ে যেতে হবে। ২০১৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই এ কাজ শেষ করা হবে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ’ রাসায়নিক উপাদানগুলো ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এবং সিরিয়া সরকারের ঘোষিত অন্যসব রাসায়নিক উপাদান ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনাগুলো ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করা হবে।ওপিসিডব্লিউর মহাপরিচালক আহমেত উমজুসু বলেছেন, পরবর্তী ধাপ হবে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। এই ধাপে অস্ত্র ধ্বংসের নিরাপদ পরিবেশ পাওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্র সিরিয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তা ধ্বংস করার কথা রয়েছে।নাকচ করেছে আলবেনিয়া: সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে আলবেনিয়ার সহায়তা কামনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে আলবেনিয়া তা নাকচ করে দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা বলেন, ‘সিরিয়ার অস্ত্র ধ্বংস কার্যক্রমে আমাদের সম্পৃক্ত হওয়াটা অসম্ভব। এ ধরনের অভিযানে অংশ নেওয়ার সামর্থ্য আলবেনিয়ার নেই।’এর আগে সিরিয়ার অস্ত্র ধ্বংসের কাজে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার দাবিতে আলবেনিয়ার রাজধানী টিরানায় কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করে সাধারণ মানুষ। টিরানার মার্কিন দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আলবেনিয়া সরকারের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানায়। তবে ওয়াশিংটন জাতিসংঘ, ওপিসিডব্লিউ ও তার মিত্রদের নিয়ে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের কাজ নিশ্চিত করবে। বিবিসি ও এএফপি। | 28,576 |
আসিফ নজরুল | opinion | মতামত | ১০ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৪০ | ১০ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৪৩ | সময়চিত্র,আসিফ নজরুল,আন্তর্জাতিক,লেখকের কলাম | null | চক্ষু চড়কগাছ! | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1017849 | সকালবেলায় টেলিভিশন খুলে চক্ষু চড়কগাছ! এই অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আমার নয়, বাংলাদেশের আরও বহু মানুষের হয়েছে। ট্রাম্প তখন এগিয়ে শুধু ফ্লোরিডা নয়, ওহাইও আর নর্থ ক্যারোলাইনা—এই দুই ব্যাটল গ্রাউন্ড স্টেটেও। আমি তখন ভাবি, এই তিন রাজ্যেও ট্রাম্প জিতলে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবধারিত জিতে যাবেন। কিন্তু এটা হয় কী করে? আমরা না শুনেছিলাম তাঁর ফ্লোরিডায় জেতার কথা নয়, ওহাইওতে তো আরও নয়!সকাল নয়টা নাগাদ আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার সময় শুনি ট্রাম্প নাকি জিততে চলেছেন ব্যাটল গ্রাউন্ড স্টেটের সব কটিতেই। নিজ নিজ শক্ত জায়গায় হিলারি আর ট্রাম্প জিতবেন, এটা তো জানা কথা। ব্যাটল গ্রাউন্ডেই না যুদ্ধ হবে, কে কতগুলোতে জিতলেন, তা-ই নির্ধারণ করবে কে হবেন আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট! আর ট্রাম্প কিনা জিততে চলেছেন সমস্ত যুদ্ধরাজ্যে! আমার বিস্ময় তখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায় জানা গেল, ট্রাম্প জিতেছেন, এমনকি পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন স্টেটে, গত সিকি শতাব্দীতে যেখানে কখনো জেতেনি রিপাবলিকানরা!কীভাবে জিতলেন ট্রাম্প? আমেরিকার মানুষ নারী রাষ্ট্রপ্রধান মেনে নিতে এখনো প্রস্তুত নয় বলে? আট বছর ধরে ক্ষমতায় হিলারির দল, তাই অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি? অতি ডান আমেরিকানদের স্বার্থপরতা? আমেরিকার অল্পশিক্ষিত আর গ্রামাঞ্চলের বেকার ও দরিদ্র মানুষের প্রতিশোধ? সিরিয়ান শরণার্থীদের প্লাবনের পর অভিবাসী ও সন্ত্রাসী আতঙ্ক? মুসলিমবিরোধী ধর্মীয় উন্মাদনা? নাকি হিলারির ই-মেইল বিষয়ে এফবিআইয়ের শেষ সময়ের ঘোষণার প্রভাব? হতে পারে সবই। কিন্তু আমরা না তারপরও শুনেছিলাম ট্রাম্প তবু হারবেন! আমেরিকার জরিপ আর বিশেষজ্ঞরা যা বলেন, তা সাধারণত ভুল হয় না। প্রায় সবাই না নিশ্চিত করে বলেছিলেন, হিলারিই জিতবেন, ট্রাম্প হারবেন!পণ্ডিত মানুষের সমস্ত হিসাব-নিকাশ উল্টে গেছে! ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হয়েছে বানর, অক্টোপাস আর মাছের। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের এসব প্রাণী ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ করেছিল, ট্রাম্প জিতবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহকর্মী মাসুদ রেজা মনে করিয়ে দিলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে অনভিজ্ঞ’ এসব প্রাণীর ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হয়েছে। সিরিয়াস চেহারা করে জানান, এখন থেকে প্রাণিকুলের এসব বাণী গুরুত্বের সঙ্গেই নেবেন তিনি, কোনো জরিপের ফলাফল নয়।২.জরিপটরিপের কথা বাদ থাক। সাধারণ বিচারবুদ্ধিতেই বলে, ট্রাম্পের মতো একজন প্রার্থীর জেতার কথা নয় আমেরিকায়। তিনি যে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পেয়েছেন, তা নিয়েই হায়-হুতাশ ছিল, এমনকি রিপাবলিকান শিবিরেই। কোনো দিন রাজনীতি করেননি, কোনো দিন রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেননি, তাঁর মতো এমন একজন লোক কখনো আমেরিকার নির্বাচনে প্রার্থী হননি। গত ৫০ বছরে, এমনকি গভর্নর, সিনেটর বা যুদ্ধবীর জেনারেল ছাড়া কেউ আমেরিকায় বড় দুই দলের মনোনয়নই পাননি। ট্রাম্প নাহয় মনোনয়ন পেলেন, কিন্তু তিনি জিতলেন কীভাবে?ট্রাম্প বিচারপতি, বিশ্বসুন্দরী, টিভি উপস্থাপক, যুদ্ধ-নায়কের শোকাহত পিতা-মাতা, এমনকি নিজ দলের শ্রদ্ধেয় নেতাদের সম্পর্কে নোংরা কথা বলেছেন। মুসলিম ও হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন, নারীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর উক্তি করেছেন, আমেরিকার বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। নিজ আয়করের হিসাব বারবার প্রশ্নের মুখেও গোপন রেখেছেন। তাঁর কর্মকাণ্ডে চরম বীতশ্রদ্ধ হয়ে তাঁকে আর সমর্থন না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রিপাবলিকান দলেরই বহু ডাকসাইটে নেতা। তাঁর সর্বশেষ অডিও টেপে নারীদের প্রতি তাঁর চরম অরুচিকর মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এমনকি তাঁর রানিং মেট পর্যন্ত। অনৈতিক ও অসৎ জীবনযাপনকারী রাজনীতিতে নবাগত এবং গণমাধ্যমে প্রবল সমালোচিত এবং নিজ দলে কারও কারও কাছে পরিত্যাজ্য এই প্রার্থী জিতবেন, আসলেই কি এটা কেউ ভেবেছিল?উত্তর হচ্ছে, ভেবেছিল। ট্রাম্প নিজে প্রচণ্ডভাবে ভেবেছিলেন। তাঁর বিজয় হতে পারে, এমন কথা বলেছিলেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞও। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা ছিল খুবই সীমাবদ্ধ। আমি নিজে বিবিসিতে কাউকে কাউকে বলতে শুনেছি, ব্রেক্সিট বা স্কটিশ গণভোটের মতো সমস্ত হিসাব উল্টে দিয়ে ট্রাম্প জিততেও পারেন। কিন্তু সত্য হচ্ছে মতামত প্রকাশ করার সুযোগ আছে, এমন বাকি প্রায় সবাই তাঁর পরাজয় হবে ভেবেছিলেন এবং সবচেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ, তাঁর পরাজয় হোক, এটা তাঁরা চেয়েছিলেনও।আমি নিজেও চেয়েছিলাম হিলারির বিজয়। সেটি হিলারিকে ভালোবেসে বা তিনি জিতলে বাংলাদেশে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবেন, এই চিন্তা থেকে নয়। সেটি ট্রাম্পের প্রতি রাগের কারণে, তিনি যেভাবে নারী এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ও চরম বৈষম্যমূলক কথাবার্তা বলেন (কৃষ্ণাঙ্গরা কদাকার, মুসলিমরা সন্ত্রাসী, হিস্পানিকেরা মাদকসেবী, গর্ভপাত করা নারীরা শাস্তিযোগ্য), সে কারণে। তিনি নির্বাচিত হলে বিশ্বনিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এটা ভেবে। আমার ধারণা, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তা-ই ভেবেছে। তারা যত না চেয়েছে হিলারির বিজয়, তার চেয়ে বেশি চেয়েছে ট্রাম্পের পরাজয়। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ তা-ই চেয়েছে।কিন্তু ভোটটা ছিল আমেরিকার মানুষের। একটি নির্বাচনব্যবস্থা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলে মানুষের ভোটই হয় নির্ণায়ক। পণ্ডিত, গণমাধ্যম, জরিপকারী বা বিদেশিদের ইচ্ছা নয়। আমেরিকার নির্বাচন তা-ই প্রমাণ করল আবারও।৩.ট্রাম্পের বিজয় তারপরও মেনে নিতে পারবে না বিশ্বের বা আমেরিকার বহু মানুষ। তিনি আমেরিকার সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত করেছেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভেঙেছেন। তাঁর বিজয়ে ক্ষুব্ধ ও অপমানিত হয়ে কিছু আমেরিকান কানাডাপ্রবাসী হওয়ার চিন্তা করছেন, তা এখনই জানা যাচ্ছে। তিনি যা বলতেন (অভিবাসীদের বিতাড়ন, মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ, মেক্সিকো সীমান্তদেয়াল, ন্যাটো ভেঙে দেওয়া, টিপিপি বা নাফটা চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন), বিজয়ী হওয়ার পর সত্যি হয়তো তা পুরোপুরি করবেন না। কিন্তু তার কিছুটাও যদি করেন, তাতেই আরও বহুবার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যেতে পারে বহু মানুষের। তিনি আমেরিকার ভেতরের সামাজিক সম্প্রীতি, বিশ্ব বাণিজ্যব্যবস্থা ও পরিবেশ চুক্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন। তিনি এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে জোট বেঁধে নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার সূচনাও করতে পারেন। সবচেয়ে যা ভয়াবহ, তিনি বিশ্বে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারের আশঙ্কা পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারেন।তিনি যা-ই করতে চান, তার পক্ষে সায় দেওয়ার জন্য সিনেট আর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ, পার্লামেন্টের দুই পক্ষই রয়েছে। বর্তমান সুপ্রিম কোর্টে বিচারক পদের একটি খালি আসনে পছন্দনীয় মনোনয়ন দিয়ে সেখানেও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ তাঁর রয়েছে। তবে ভরসা হচ্ছে আমেরিকার পার্লামেন্ট বা সুপ্রিম কোর্ট অনুন্নত বিশ্বের বহু দেশের মতো শাসন বিভাগের অন্ধ অনুগত নয়। ট্রাম্প তাই যা ইচ্ছা তা করতে পারবেন, এটা হয়তো সম্ভব নয় আমেরিকায়।এমনও হতে পারে, ট্রাম্প হয়তো যা ইচ্ছা তা বলবেনও না এরপর। নির্বাচনে জেতার বক্তব্য আর নির্বাচিত হওয়ার পরের বক্তব্য পৃথিবীতে বহু দেশেই এক রকম হয় না। তিনি ইতিমধ্যে আমেরিকাকে বরং এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন। অভিবাসী, মুসলিম ও হিস্পানিকদের প্রতি সদয় কথাবার্তাও হয়তো তিনি একসময় বলবেন। তবে তিনি যে অতি বুর্জোয়া, অতি ডান ও হোয়াইট সুপ্রিমেসির রাজনীতি ধারণ করেন, তাঁর ভোটারদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হলে কিছু নতুন পদক্ষেপ তাঁকে নিতেই হবে।মনে হয় না আমেরিকা বা বাদবাকি বিশ্বের জন্য তা সার্বিকভাবে কল্যাণকর হবে!আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। | 264,053 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:২৫ | ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:১৭ | রাজনীতি | 0 | সংলাপের বিকল্প নেই: শামসুজ্জামান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1025223 | নির্বাচন কমিশন গঠনে খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান। বলেছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সংলাপের বিকল্প নেই।আজ সোমবার মাওলনা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় স্মরণ মঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান এ কথা বলেন।শামসুজ্জামান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কোনো গণতান্ত্রিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ নয়। তিনি সরকারকে হয় এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করতে অথবা সরকার পক্ষ থেকে আরেকটি প্রস্তাব দিয়ে আলোচনার দ্বার উন্মোচন করার আহ্বান জানান।বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করেছেন মাওলানা ভাসানী। তিনি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন, তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৪৭ সালের পূর্বে ব্রিটিশবিরোধী আজাদি আন্দোলন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ’৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১–এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ–পরবর্তী স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন, ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরোধী লংমার্চে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাওলানা ভাসানী।স্মরণ মঞ্চের আহ্বায়ক আ হ ম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নাজমুল হক, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, কল্যাণ পার্টি মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। বিজ্ঞপ্তি। | 267,197 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ আগস্ট ২০১৬, ০২:১৮ | ২৬ আগস্ট ২০১৬, ০২:১৯ | নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা | 0 | সাপের দংশনে ছাত্রীর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/958243 | নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশভাগ গ্রামে সাপের দংশনে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে সেলিনা আক্তার (১৫)। গত বুধবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে সে। রাত একটার দিকে বিষধর একটি সাপ তাকে দংশন করে। পরে সে মারা যায়। সেলিনা পাটুল হাপানিয়া স্কুল ও কলেজের ছাত্রী ছিল। | 253,472 |
দিনাজপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ এপ্রিল ২০১৪, ০২:০৪ | ০১ এপ্রিল ২০১৪, ০২:০৬ | নির্বাচন,উপজেলা নির্বাচন,দিনাজপুর,বিরল,রংপুর বিভাগ | 0 | ‘প্রেস’ লেখা গাড়িতে কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন প্রার্থী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/181993 | দিনাজপুরে বিরল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ‘প্রেস’ লেখা গাড়িতে করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ চালাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন।আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মানবেন্দ্র রায় বলেন, আনোয়ার চৌধুরী নির্বাচনী এজেন্ট ও সমর্থকদের নিয়ে যে গাড়িতে চড়ে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন, তাতে ‘প্রেস’ লেখা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাধারণ ভোটাররা তাতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তিনি অবাধে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাঁর পক্ষে ভোট চাইছেন।বিএনপি-সমর্থিত মো. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রেসের স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। বিষয়টি তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন।গতকাল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী তাঁর ছয়জন সমর্থক নিয়ে ‘প্রেস’ লেখা সাদা একটি গাড়ি নিয়ে উপজেলার ফরাক্কাবাদ এনআই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আসেন।এ সময় তাঁর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার ১৬৯/১ শান্তিনগর থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের সময় নামে পত্রিকাটির তিনি মালিক ও সম্পাদক। নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেও তিনি একজন সাংবাদিক। তাই গাড়ি থেকে ‘প্রেস’ লেখা মুছে ফেলার কোনো প্রয়োজন নেই। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা নয়।দিনাজপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে কোনো প্রার্থীর ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আনোয়ার চৌধুরী যে একজন সাংবাদিক এবং সম্পাদক তা তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়া একাধিক ব্যক্তি নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে যেতে পারেন না। | 62,563 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | economy | অর্থনীতি | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৫৯ | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৩০ | -1 | null | নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলে খরচ কমছে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1562134 | অপারেটর বদল করে রবি আজিয়াটায় যাওয়ার আগ্রহ বেশি মোবাইল ফোন গ্রাহকদের মধ্যে। মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সেবা বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালু হওয়ার পর ১৮ দিনে ৪৭ হাজার ৯০ জন গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে রবিতে গেছেন সবচেয়ে বেশি গ্রাহক।দেশে ১ অক্টোবর থেকে প্রথমবারের মতো এমএনপি সেবা চালু হয়। গ্রাহকেরা যাতে নম্বর ঠিক রেখে অন্য অপারেটরে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে এ সেবা চালু করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।বিটিআরসির প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, ১৮ দিনে ২৬ হাজার ৮১৭ জন গ্রাহক অপারেটর বদলাতে সফল হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৯১৬ জন গেছেন রবিতে। বাংলালিংকে গেছেন ৫ হাজার ৫২৬ জন। গ্রামীণফোনে গেছেন ৪ হাজার ৪১ জন। আর টেলিটকে গেছেন ৩৩৪ জন।সফল হওয়াদের মধ্যে গ্রামীণফোন ছেড়েছেন ১১ হাজার ৬৭৬ জন। বাংলালিংক ছেড়েছেন ৮ হাজার ৯১৬ জন। রবি ছেড়েছেন ৫ হাজার ৯৭৩ জন। টেলিটক ছেড়েছেন ২৫২ জন।২০ হাজার ২৫৫ জন গ্রাহক আবেদন করেও অপারেটর বদলাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর মধ্যে রবিতে যেতে চেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৪০৬ জন। এ ছাড়া ৪ হাজার ৮৭ জন বাংলালিংকে, ২ হাজার ৬৩১ জন গ্রামীণফোনে ও ১৩১ জন টেলিটকে যেতে চেয়েছিলেন। ব্যর্থ হওয়াদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৪২ জন গ্রামীণফোন, ৬ হাজার ৮৬১ জন বাংলালিঙ্ক, ২ হাজার ৬৯৩ জন রবি ও ২ হাজার ৫৯ জন টেলিটক ছাড়তে চেয়েছিলেন।বকেয়া টাকা থাকা, মোবাইল ওয়ালেটে ব্যালেন্স বা স্থিতি থাকাসহ নানা কারণে অপারেটর বদলের আবেদন সফল হয় না।এদিকে অপারেটর বদলের ব্যয় কমাচ্ছে সরকার। বর্তমানে অপারেটর বদলে গ্রাহকের ব্যয় ১৫৮ টাকা। এর মধ্যে ৫০ টাকা এমএনপির ফি বা মাশুল, মাশুলের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট সাড়ে ৭ টাকা এবং সিম পরিবর্তনের কর ১০০ টাকা। সরকার ১০০ টাকা সিম পরিবর্তনের কর তুলে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। | 380,154 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৫:১৬ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৫:১৮ | খবর,রাজধানী (জাতীয়) | null | প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে ত্রুটির ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1043867 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে ত্রুটির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রকৌশল বিভাগের তিন কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এম এ এম আসাদুজ্জামান বিমানবন্দর থানায় মামলাটি করেন।মামলার আসামিরা হলেন বিমান বাংলাদেশ–এর প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান। ইতিমধ্যে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।বিমানবন্দর থানার ওসি নুরে আযম মিয়া মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। | 276,002 |
-1 | opinion | মতামত | ১৫ আগস্ট ২০১৬, ০০:১১ | ১৫ আগস্ট ২০১৬, ০০:১২ | চিঠিপত্র,মতামত | 0 | শিশুশ্রম | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/946219 | ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’ অর্থাৎ শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজ যারা শিশু, আগামী দিনে তাদের ওপরই ন্যস্ত হবে দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব। কিন্তু নানা করণে শিশুরা আজ উপযুক্ত পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত। জীবিকার প্রয়োজনে তারা বাধ্য হচ্ছে শ্রম দিতে। বর্তমানে শিশুদের সুন্দর শৈশব ও বিকশিত জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা এ শিশুশ্রম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের আনুমানিক শ্রমশক্তির শতকরা ১৫ ভাগই শিশু। এদের মধ্যে শহরাঞ্চলের শিশুরা গার্মেন্টস শ্রমিক, গাড়ির হেলপার, কুলি, হকার, রিকশা শ্রমিক, হোটেল বয় ও গাড়ির গ্যারেজ প্রভৃতি কাজে নিয়োজিত। এ ছাড়া রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন কারখানা, চামড়া ও শিল্প শ্রমিক, মাদকদ্রব্য বেচাকেনা প্রভৃতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও শিশুরা নিয়োজিত। গ্রামাঞ্চলে শিশুদের একটি বিরাট অংশ খেতে-খামারে কাজ করে। শিশুরা এ ধরনের শ্রমদান করতে বাধ্য হয় আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে। এ দেশের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এসব মানুষ বাধ্য হয়ে বাড়তি উপার্জনের জন্য তাদের সন্তানদের ঝুঁকিপূর্ণ নানা কাজে নিয়োজিত করে। অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবও এর জন্য দায়ী। তাই এত প্রচারণা সত্ত্বেও শিশুশ্রম থামছে না। মো. আবুল কালামমৌলভীবাজার। | 250,120 |
প্রথম আলো ডেস্ক | life-style | জীবনযাপন | ০৪ নভেম্বর ২০১৩, ০২:১৩ | ০৪ নভেম্বর ২০১৩, ০২:১৩ | আমার ডাক্তার,জীবনধারা | null | চোখের সুরক্ষায় খাবার | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/65041 | যাঁরা প্রচুর ভিটামিন ‘ই’, ‘সি’ ও বিটা ক্যারোটিন এবং জিংক খেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে বয়সকালে চোখে ছানি ও ম্যাকুলার ক্ষয়জনিত অন্ধত্বের প্রকোপ কম। প্রায় এক দশক আগে বয়স্ক ব্যক্তিদের চোখের সমস্যা নিয়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় এ তথ্য ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছিল। গবেষণার কাজটি এআরইডিএস নামে পরিচিত।সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে এআরইডিএস গবেষণার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বের ফলাফলে আগের খাদ্য উপাদানের সঙ্গে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যুক্ত হয়েছে। এক. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা পাওয়া যাবে মাছের তেল ও বাদামে। দুই. লুটিন ও জিএক্সেনথিন নামের আরও দুই ধরনের ক্যারোটিনয়েড, যা পাওয়া যায় রঙিন ও সবুজ পাতাসমৃদ্ধ সবজিতে।টাফট বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এই দুটি ক্যারোটিনয়েড খেলে ভবিষ্যতে দ্রুত চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা বা ঝুঁকি ২৩ শতাংশ কমানো যায়। সবুজ শাক, পেঁয়াজপাতা, লেটুস, বাঁধাকপি, শালগম ইত্যাদি হলো এই দুটি ক্যারোটিনয়েডের চমৎকার উৎস। ওয়েবমেড। | 25,306 |
নোয়াখালী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ আগস্ট ২০১৭, ০১:০৪ | ০৮ আগস্ট ২০১৭, ০১:০৭ | নোয়াখালী | 0 | ভর্তি পরীক্ষা ৩ নভেম্বর শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1281056 | নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান (১ম বর্ষ) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার সকালে উপাচার্য এম অহিদুজ্জামানের কার্যালয়ে ভর্তি-সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মমিনুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। | 331,461 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৪:১৯ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৪:২২ | রাজনীতি | null | ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/150268 | আল-কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির অডিও বার্তার সঙ্গে বিএনপিসহ যাঁদের সম্পর্ক পাওয়া যাবে, তাদের বিচার হবে বলে হুঁশিয়ার করলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।‘যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করেত আওয়ামী লীগ আল-কায়েদার সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছে’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আপনার কথা শুনে মনে হয় ‘‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’’। অস্বীকার করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় মদদ দিয়েছেন এটা প্রমাণিত। আপনার দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আপনার দলের বড় নেতা দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দুবাইয়ে বৈঠক করেছেন। মুফতি ইজহারুলকে আপনারাই প্রশ্রয় দিয়েছেন। গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তাই শুধু জঙ্গিদের বিচার করা হবে না, এর সঙ্গে যারই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিচার করা হবে।’সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘কয়েক দিন আগে বিএনপির নেতারা যেভাবে লাদেনের মতো ভিডিওবার্তা পাঠিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে উত্সাহিত করতেন; ঠিক সেভাবে আয়মান আল জাওয়াহিরি একটি অডিও বার্তা দিয়েছেন। এর সত্য-মিথ্যা এখনো অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এ কথা ভাবার অবকাশ নেই যে বাংলাদেশে আল-কায়েদার নেটওয়ার্ক নেই। মুফতি ইজহারুল আফগানিস্তান থেকে ফিরে এসে লিখলেন ‘ঘুরে এলাম স্বপ্নের আফগানিস্তান’। সুতরাং তাঁদের মতো অনেকেই এ দেশে থাকতে পারে।হানিফের দাবি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তিনবার জাওয়াহিরি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। তিনি দাবি করেন, ‘শুধু জামায়াতই জঙ্গিবাদের মদদ দেয়নি; বিএনপিও পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। বিএনপির সঙ্গে সন্ত্রাসের যোগসূত্র নতুন নয়। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই তাদের এই জঙ্গি কানেকশন। তবে আল-কায়েদা ও লস্কর-ই-তৈয়বা যে হুমকি দিক না কেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি হতে দেওয়া হবে না। জঙ্গিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা হবে।’ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইতিহাস সংরক্ষণ প্রকল্প আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৩ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বদরুল আলম স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য নাজু, সাহসিকতার জন্য ঝর্ণা বেগম, তাজুল ইসলাম, কিশোর বেলাল, সেবায় জয়নাল আবেদিন, ভাষাসৈনিক আফজালুন্নেসা, ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, ডা. সাঈদ হায়দার, ড. আহমদ রফিক, বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ডা. চৌধুরী হাফিজুল আহসান, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, রাফিদ আহমেদ ও জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।বিশিষ্ট চিকিত্সক মির্জা মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী। | 52,184 |
বরিশাল অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ জুলাই ২০১৪, ০১:৫১ | ২৭ জুলাই ২০১৪, ০১:৫২ | বরিশাল,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা | 0 | কার্গো ও লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ, দুজন আহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/278545 | বরিশাল-ঢাকা নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে পণ্যবোঝাই কার্গোর সংঘর্ষে দুজন যাত্রী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে লঞ্চের সামনের দিকে চার-পাঁচ ফুট দুমড়েমুচড়ে গেছে।গতকাল শনিবার ভোর চারটার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকায় এমভি টেকটাস নামের কার্গোর সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চ পারাবত-১০-এর সংঘর্ষ হয়। আহত মাহমুদ মিয়া এবং মুকুল বেগমকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা বলেন, ভোররাতে হঠাৎ সজোরে লঞ্চের সঙ্গে কিছু একটা ধাক্কা খায়। পরে দেখা যায়, একটি কার্গোর সঙ্গে লঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন।তবে পারাবত লঞ্চের পরিচালক মো. ইকবাল বলেন, ঢাকা থেকে ৭৫০ জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। ভোররাতে বরিশাল কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি কার্গো লঞ্চের সামনের দিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতে কার্গো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই সময় এক সারিতে ছয়টি কার্গো যাচ্ছিল।বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের পরিদর্শক মো. আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মালবাহী কার্গোটি ভারত থেকে খুলনা হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে লঞ্চ ও কার্গোর মাস্টারের অবহেলার কারণে এ সংঘর্ষ হয়েছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আবুল বাশার মজুমদার বলেন, রাতে কার্গো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও কার্গো চলাচল করছে। এ ব্যাপারে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা কার্যালয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, পারাবত লঞ্চের ধারণক্ষমতা ৭৫০। কিন্তু লঞ্চটি দেড় হাজারের মতো যাত্রী নিয়ে বরিশালে আসে। | 81,094 |
অনলাইন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৯ আগস্ট ২০১৩, ১৫:০১ | ১৯ আগস্ট ২০১৩, ১৫:০৩ | বাংলা গান | null | আবদুর রহমান বয়াতির মৃত্যুতে ঘনিষ্ঠজনের প্রতিক্রিয়া | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/40484 | দীর্ঘদিন রোগে ভুগে আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় ‘মন আমার দেহ ঘড়ি’খ্যাত জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী আবদুর রহমান বয়াতি মারা গেছেন। রাজধানীর জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চরক্তচাপ, কিডনি, ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। আবদুর রহমান বয়াতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী শিল্পীরা।রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে কোনো ধরনের সম্মান দেওয়া হয়নি: কুদ্দুস বয়াতিআবদুর রহমান বয়াতির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৮৭ সালে। সেই থেকে একসঙ্গে আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গান করেছি। এটা অব্যাহত ছিল তাঁর অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত। টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও আমরা একসঙ্গে অনেকবার উপস্থিত হয়েছি। বাউল গানে তাঁর অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে কোনো ধরনের সম্মান দেওয়া হয়নি। দেশের উচ্চপর্যায়ে যাঁরা আছেন, তাঁদের সবার প্রতি বিনয় রেখে বলতে চাই, দয়া করে আপনারা সবাই বেঁচে থাকতে একজন মানুষকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু বুঝিয়ে দিন। মারা যাওয়ার পর তাঁকে শহীদ মিনার কিংবা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করে কী লাভ? যাঁকে নিয়ে এত আয়োজন, সেই মানুষটাই যদি বেঁচে থাকতে শুধু কষ্টই পেয়ে যান, তাঁর জন্য মারা যাওয়ার পর বড় আয়োজন রাখার কোনো মানেই হয় না। কয়েক বছর ধরেই হাসপাতালের বিছানায় দিন কাটাচ্ছিলেন আবদুর রহমান বয়াতি। আমি সময়-সুযোগ পেলে প্রায়ই হাসপাতালে ছুটে যেতাম। তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আসতাম। আবদুর রহমান বয়াতি একজন বাউল সাধকই শুধু নন, তিনি একজন ভালোমানুষও ছিলেন। তাঁর মতো নির্লোভ-নির্মোহ মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। তাঁর মৃত্যুর সংবাদটি অনেক বেশি কষ্ট দিয়েছে আমাকে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের বাউল গানের অনেক বড় একটা ক্ষতি হয়ে গেল। মানুষটা মৃত্যুর আগে নানা দুঃখ-কষ্টের মধ্যে ছিলেন: হানিফ সংকেত১৯৯৬ সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ইস্যুর ওপর ভিত্তি করে আবদুর রহমান বয়াতিকে নিয়ে ‘সুখের স্বপ্ন’ নামের একটি অনুষ্ঠান করি। এটিই তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ। মা ও শিশুর যত্নে কী করা উচিত তারই প্রচারণার অংশ হিসেবে কাজটি করেছিলাম। এরপর একুশে টেলিভিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবদুর রহমান বয়াতির অংশগ্রহণে একটি গান করি। তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিল খুবই চমত্কার। কষ্ট লাগে এই ভেবে যে, মানুষটা মৃত্যুর আগে নানা দুঃখ-কষ্টের মধ্যে ছিলেন। অর্থাভাবে ঠিকমতো চিকিত্সার ব্যয়ভার নির্বাহ করতে পারেননি তিনি। স্মৃতিচারণা না করে আমাদের ভাবতে হবে জীবিত থাকা অবস্থায় আবদুর রহমান বয়াতিদের জন্য কী করণীয়। এভাবে চলে যাওয়াটা সরকারের জন্য অনেক লজ্জার: আইয়ুব বাচ্চুআবদুর রহমান বয়াতির ‘মন আমার দেহ ঘড়ি’ গানটি আমার অসম্ভব পছন্দের। বছর দুয়েক আগে তাঁর চিকিত্সার জন্য অর্থসাহায্য চেয়ে হোটেল রূপসী বাংলায় একটি কনসার্টে গান করি। আজ সোমবার সকালে শুনলাম তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। অর্থাভাবে চিকিত্সা না করাতে পেরে যেভাবে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আবদুর রহমান বয়াতির মতো শিল্পীদের এভাবে চলে যাওয়াটা সরকারের জন্য অনেক লজ্জার।আমরা শিল্পীদের শেষ সময়কার অবস্থা নিয়ে অনেক কথাই বলেছি। এবার চাইব সরকার যেন অধিকারবঞ্চিত ও অসহায় শিল্পীদের সম্পর্কে কথা বলে। পাইরেসির দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা শিল্পীদের গানের রয়ালটি দিচ্ছেন না। দিনে দিনে টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি সবই করে নিচ্ছেন। অথচ যাঁদের দিয়ে তাঁরা এই সম্পদের মালিক হচ্ছেন, সেই শিল্পীদের ন্যায্য পাওনাটা তাঁরা ঠিকমতো বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।এ দেশে একজন সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা, কাঙালিনী সুফিয়া, শাহ আবদুল করিম ও আবদুর রহমান বয়াতির মতো শিল্পীরা কোনোদিন জন্মগ্রহণ করবেন না। এঁদের মতো বড় মাপের শিল্পীদের দিয়ে ব্যবসায়ীরা টাকার পাহাড় গড়ছেন অথচ শিল্পীরা অর্থাভাবে চিকিত্সা করাতে পারেন না এবং না খেয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। একজন সাবিনা ইয়াসমীনের চিকিত্সার জন্য চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করতে হয়! যা জাতির জন্য লজ্জার, নিন্দার, ঘৃণার এবং অপমানের। | 10,230 |
নড়াইল প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:১১ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:১২ | নড়াইল,খুলনা বিভাগ | 0 | আজ অমল সেনের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/741976 | তেভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড অমল সেনের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে নড়াইল-যশোরের বাঁকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী অমল সেন স্মরণমেলা। ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’ এ মেলার আয়োজন করছে।অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ জুলাই আউড়িয়ার প্রখ্যাত রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারের সন্তান। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ‘অনুশীলন’ গ্রুপের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। দৌলতপুর বিএল কলেজে পড়ার সময় মার্ক্সবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং নড়াইলে ফিরে এসে কৃষক আন্দোলনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ২০০৩ সালের এ দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন অকৃতদার এই বিপ্লবী। | 193,140 |
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৬ | ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৭ | পাবনা,খবর,অপরাধ | 0 | বাল্যবিবাহ করতে এসে বর শ্রীঘরে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1030255 | পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে বিয়ে করতে আসা বরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বরের বাবা ও ছাত্রীর বাবা-মাকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল সোমবার দুপুরে এ সাজা দেন।আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিল মাহমুদ। ছাত্রীটি আদালতকে বলে, ‘রোববার সন্ধ্যায় সে পড়তে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তখন হঠাৎ তাদের বাড়িতে দুটি ভটভটিতে করে বরযাত্রী এসে হাজির হয়। মা এসে তাকে বলেন, “আজ তোর বিয়ে। সাজগোজ করে নে।” আমি এ বিয়েতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী করব? পরে পুলিশ এসে এ বিয়ের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে।’গতকাল দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। সেখানে ছাত্রীসহ পাঁচজনকে হাজির করে পুলিশ। আদালতের হাকিম তাঁদের বক্তব্য শোনেন। পরে বর নাজমুল মণ্ডলকে (২৩) এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বরের বাবা নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঝগ্রামের কৃষক বাদশা মণ্ডল এবং ছাত্রীর বাবা ও মাকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজ সমাপ্ত ঘোষণার আগে হাকিম শাকিল মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাল্যবিবাহ ঠেকানোর জন্য পরিবার ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।নাজমুল মণ্ডল পেশায় ট্রাকচালক। তিনি বলেন, কনে দেখা ও বিয়ের আয়োজন রোববার রাতেই হওয়ার কথা ছিল। মা-বাবার ইচ্ছায় তিনি এ বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন।ঈশ্বরদী থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার বলেন, রোববার সন্ধ্যায় খবর পেয়েই পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। বরসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের আদেশে ট্রাকচালক নাজমুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। | 269,609 |
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৪৪ | ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫১ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | সাদুল্যাপুরে ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/692647 | গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে গতকাল সোমবার ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।সাদুল্যাপুর থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে ওই গ্রামের ইব্রাহিম আলীর সঙ্গে একই গ্রামের শাহাদত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলাও ছিল। গতকাল সকালে শাহাদত হোসেন ওই জমির বিচারাধীন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গাইবান্ধা যান। এই সুযোগে দুপুরে ইব্রাহিম আলী ভাড়াটে লোকজন নিয়ে ওই বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটতে যান। খবর পেয়ে শাহাদত বাড়িতে এসে লোকজন নিয়ে ধান কাটতে বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ওই গ্রামের আবদুর রউফ (৪৮), আমিনুল ইসলাম (৩০), সেলিম মিয়া (৪০), হিরু মিয়া (৩২), গোলাপী বেগম (৪০), আফরুজা খাতুন (২০) ও লাভলী বেগমকে (৩০) সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং শাহাদত হোসেন (৬২), ছামছুল ইসলাম (৬৫), মিনারা বেগম (৩৫), বেবী বেগমকে (৪৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তাঁরা হচ্ছেন গ্রামের ইব্রাহিম আলী (৬০) ও স্বাধীন মিয়া (৩০)। সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, এ ঘটনায় শাহদাত হোসেন বাদি হয়ে আটক করা দুজনসহ মোট ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সব আসামি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। | 177,278 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ১৭:৪৩ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ১৭:৪৪ | দুর্ঘটনা,কিশোরগঞ্জ,ভৈরব | 0 | স্কুল শেষে ফেরার পথে নৌকা ডুবে দুই শিশু নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/40708 | স্কুলের ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি বিলে নৌকা ডুবে দুই শিশু নিহত হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে আরও সাতজন শিশু শিক্ষার্থী।নিহত শিশুরা হলো পশ্চিম শেরবাজ গ্রামের নাসিমা বেগম (৬) ও জিদনী বেগম (৬)। তারা উভয়েই মনোহরপুর শেরবাজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোহরপুর শেরবাজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম শেবরাজ গ্রামের শিক্ষার্থীদের নৌকায় করে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। দুপুর ১২টায় ওই স্কুলের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাস ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকায় ওঠে। নৌকাটি শেরবাজ এলাকায় পৌঁছালে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে উল্টে যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় সাত শিক্ষার্থীকে তীরে আনা সম্ভব হলেও নাসিমা ও জিদনী বিলের পানিতে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, দুই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ইউনিয়নজুড়ে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন জানান, নৌকাডুবির ঘটনাটি তাঁদের জানা নেই। কেউ তাঁদের এ বিষয়ে জানায়নি। | 10,472 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৩:২৮ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৩:২৯ | রংপুর,বিশাল বাংলা | 0 | নয় দিনের মাথায় রংপুরে জাপার কমিটি বিলুপ্ত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/108529 | রংপুরে জাতীয় পার্টির (জাপা) কমিটি আবার বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। নগরের সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানা গুঞ্জন চলছে।১৫ ডিসেম্বর মসিউর রহমান রাঙ্গার নেতৃত্বাধীন জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধমে এ কথা জানানো হয়েছিল। নতুন জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় যথাক্রমে করিম উদ্দিন ভরসা ও মোস্তাফিজার রহমানকে। মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় যথাক্রমে এ কে এম আবদুর রউফ মানিক ও এস এস ইয়াসিরকে।নতুন কমিটি ঘোষণার নয় দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার সেই কমিটিও বাতিল করে আগের কমিটি বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এ প্রসঙ্গে রংপুর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাপার সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ নূর আহমেদ ওরফে টুলু বলেন, দল নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।এরশাদের ভক্ত আফজালুর রহমান নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘এমন রাজনীতি দেখিয়া কাকো আর বিশ্বাস করা যায় না। সেই জন্যে হামরাগুলা আর মিছিল-মিটিংওত যাই না।’১৫ ডিসেম্বর ঘোষিত জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নতুন কমিটির সমন্বয়কারী এরশাদের ভাতিজা রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের সাংসদ আসিফ শাহরিয়ার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। বড় আব্বা (এরশাদ) আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করেন। আশা করছি নতুন কমিটিই বহাল থাকবে।’মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন কাদেরী বলেন, বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটি আবার বহাল করার সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টিতে প্রাণ ফিরে এসেছে। এ কমিটি গত সেপ্টেম্বর মাসে সমেঞ্চলনের মাধ্যমে গঠন করা হয়।প্রসঙ্গত, কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর জাতীয় পার্টির বিবদমান দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। দুই পক্ষই এরশাদের বন্দীদশা থেকে মুক্তির দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর থেকে রংপুরে ৪০ ঘণ্টার হরতাল পালন করেছে। | 38,698 |
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৩৯ | ১৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৪১ | চুয়াডাঙ্গা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি, ১০ মাসের বেতন বকেয়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1022447 | চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভায় ২০ বছর ধরে প্রহরী পদে কর্মরত মহসীন আলী (৪৫)। বেতন-ভাতা মিলিয়ে মাসে পান ১৩ হাজার টাকা। তা দিয়ে কোনোমতে চলছিল স্ত্রী-দুই সন্তানসহ চার সদস্যের সংসার। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ অর্থসংকটে পড়ায় তাঁর গত ১০ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়েছে।মহসীন বললেন, ‘ঋণের বোঝা প্রতিদিন ভারী হচ্ছে। বাজার-ঘাটে পৌর কর্মচারী পরিচয় শুনলে আর কেউ দেনায় কিছু বিক্রি করতে চায় না। বাচ্চারা ভালো-মন্দ খেতে চাইলেও দিতে পারি না। স্বজনদের কাছে ঋণ-কর্জ করে আর কত দিন চলা যায়?’আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় চরম অর্থসংকটে রয়েছে দর্শনা পৌরসভা। এর ফলে মহসীন আলীর মতো পৌরসভার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরই ১০ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তাঁরা।পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের ২৭ নভেম্বর দর্শনাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। ২০১১ সালে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয় পৌরসভাটি। বর্তমানে এখানে মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর মিলে ১৩ সদস্যের পরিষদ রয়েছে। রয়েছেন স্থায়ী দুজন কর্মকর্তা ও ২৫ জন কর্মচারীর পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ পাওয়া ৩৯ জন অস্থায়ী কর্মচারী। নতুন বেতন স্কেল চালু হওয়ার পর এ পৌরসভায় বেতন-ভাতা ও সম্মানী বাবদ প্রতি মাসে খরচের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। কিন্তু মোট আয় এর চেয়ে অনেক কম হওয়ায় উন্নয়নকাজে ব্যয় দূরের কথা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়াই দায় হয়ে পড়েছে।পৌরসভার সচিব এস এম আবদুস সামাদ জানান, সর্বশেষ ২০১১ সালে এ পৌরসভায় কর পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী এখনো কর আদায় চলছে। পৌরসভায় এখন বার্ষিক কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭৩ লাখ ১৯ হাজার ১১৭ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মাসের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ লাখ ৯ হাজার ৯২৬ টাকা। অর্থাৎ শতভাগ রাজস্ব আদায় হলেও প্রতি মাসে বেতন-ভাতা ও সম্মানী বাবদ ঘাটতি থাকে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৪ টাকা। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হওয়ায় এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।’পৌরসভা সূত্র বলছে, ১ নভেম্বর প্রণীত হিসাব অনুযায়ী বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিষদের সদস্যদের বেতন-ভাতা-সম্মানী এবং অবসর গ্রহণকারী একজন কর্মচারীর কাছে পৌরসভার মোট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ১০ মাসের বেতন-ভাতা বাবদ ৬৬ লাখ, ভবিষ্য তহবিল ৪০ লাখ ৭০ হাজার, গ্র্যাচুইটি ৫০ লাখ ১০ হাজার ও সম্মানী ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। আর বেতন-ভাতা ও অবসর-ভাতা মিলে সাবেক ক্যাশিয়ার কাম হিসাবরক্ষক রুস্তম আলীর একারই পাওনা ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।রুস্তম আলী বলেন, গত ১৫ মার্চ তিনি যখন অবসর গ্রহণ করেন, তখনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া ছিল। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বকেয়া টাকা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করছেন।মেয়র মতিয়ার রহমান শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে ১ নম্বর প্যানেল মেয়র রবিউল হক প্রথম আলোকে বলেন, পৌরসভার বর্তমান পরিষদ গত ১০ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করে। ওই সময়ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া ছিল। সমস্যা সমাধানে কর পুনর্নির্ধারণ এবং নতুন হাট-ঘাট স্থাপনের মাধ্যমে আয়ের খাত বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। | 266,122 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ মে ২০১৫, ২৩:১০ | ১৬ মে ২০১৫, ২৩:১৪ | চট্টগ্রাম,আইন ও বিচার | null | দায় স্বীকার করে জবানবন্দি ৪ যুবকের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/529408 | চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী খুন হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার চার যুবক আজ শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গ্রেপ্তার চারজন হলেন গিয়াস উদ্দিন (৩০), মো. মাহবুবুল (২৬), মো. সাগর (২৫) ও মাহজারুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৪)। চট্টগ্রাম ও কিশোরগঞ্জের কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে গ্রেপ্তার অভিযান শেষ হয় বলে পুলিশ জানায়।নগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল জলিল মণ্ডল গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়টি উড়িয়ে দেন। আজ দুপুরে সিএমপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জলিল মণ্ডল বলেন, ‘আমরা কারও রাজনৈতিক পরিচয় দেখিনি। রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের দেখার দরকার নেই। এদের মূল পরিচয় হচ্ছে, এরা কিলার (হত্যাকারী)।’তবে গিয়াস উদ্দিনকে ছাড়িয়ে নিতে সরকার-দলীয় এক কাউন্সিলর তদবির করেন বলেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কোনো ধরনের তদবির ছিল না। আসামিদের গ্রেপ্তারে অপারেশন চলছিল। অপারেশন শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এনেছি।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, গিয়াস নামে বাকলিয়ায় কোনো যুবলীগ নেতাকে আমি চিনি না। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ হলে হতে পারে। তবে যুবলীগের কেউ নয়।পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চার যুবকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ডাকাতি। ঘুম থেকে জেগে চিৎকার করায় নিরাপত্তারক্ষী ইব্রাহিম বিন খলিলকে তারা খুন করে। এক মাস আগে এই ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারা।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গিয়াস ও আরিফকে চট্টগ্রাম থেকে এবং মাহবুবুল ও সাগরকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার চারজনই আজ মহানগর হাকিম নূরে আলম ভূঁইয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আরও জানান, গ্রেপ্তার চারজনের সঙ্গে আরও দুজন ঘটনায় জড়িত ছিলেন। এরা হলেন, রায়হান ও মাসুদ। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক, অর্থ ও প্রশাসন) এ কে এম শহীদুর রহমান, নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার কুসুম দেওয়ান ও অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম তানভির আরাফাত। | 139,232 |
প্রতিনিধি, ঢাকা মেডিকেল | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:২০ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৮:৩৫ | -1 | 0 | রাজধানীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1554325 | রাজধানীর বাংলামোটরের ইস্কাটনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। আজ রোববার সন্ধ্যার দিকে ইস্কাটন এলাকার ইস্টার্ন টাওয়ারের সামনে বৃদ্ধকে ধাক্কা দেয় মাইক্রোবাসটি। পরে রাত নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।মারা যাওয়া ওই বৃদ্ধের নাম আবুল হোসেন ফরাজী (৬৫)। তাঁর বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর থানার ফরাজীপড়ায়।পথচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন বলেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসটি তাঁকে ধাক্কা দেয়। পরে মাইক্রোবাসের চালক নেমে এসে পথচারী ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।আবুল হোসেন ফরাজীর ভাতিজা রাজু আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর চাচার মৃত্যু হয়েছে। তিনি দুই ছেলে এক মেয়ের জনক।হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তমেজ উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে চালককে আটক ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে গেছেন। | 374,098 |
শেখ সাবিহা আলম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৩৩ | ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ১১:৫২ | ঢাকা বিভাগ,পরিবেশ | null | ৮ শহরে বায়ু সবচেয়ে ক্ষতিকর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/747259 | ঢাকাসহ ছয় মহানগর ও ঢাকার পাশের দুটি শহরের বাতাস এখন ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’। বাতাসের মান পরীক্ষা করে পরিবেশ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।এ অবস্থায় বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস নিতে গিয়ে মানুষের ফুসফুসে যা ঢুকছে, তা শুধু মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিদিন মানুষ দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করে। কিন্তু ফুসফুসে নেয় দুই হাজার লিটার বাতাস। এই শ্বাস গ্রহণের সময়েই ফুসফুসে ঢুকে পড়ছে অস্বাস্থ্যকর বস্তুকণা।পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট (কেস) প্রকল্পের আওতায় বাতাসের মান খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। এ জন্য ঢাকায় চারটি, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট মহানগর এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে একটি করে নির্মল বায়ু পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ১১টি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে বাতাসকে ভালো, মধ্যম, অস্বাস্থ্যকর, খুব অস্বাস্থ্যকর, অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর—এই মানে চিহ্নিত করা হয়। প্রায় প্রতিদিন এই কেন্দ্রগুলো থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করেন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত পর্যবেক্ষকেরা। পর্যবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, শীতকালে ১১টি কেন্দ্রে যে মানের বাতাস পাওয়া যাচ্ছে, এর চেয়ে বোধ হয় খারাপ অবস্থা আর হতে পারে না।এদিকে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) উদ্ধৃত করে বলছে, বায়ুদূষণের কারণে হওয়া ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। আর ২০১২ সালে এই রোগটির কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে যে পাঁচটি দেশে তার একটি হলো বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ধূমপান, সড়ক দুর্ঘটনা এবং ডায়াবেটিস—এই তিনটি রোগে প্রতিবছর যত মানুষ মারা যায়, বায়ুদূষণের কারণে মারা যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি মানুষ।পর্যবেক্ষণের তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের কেস প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকাসহ ছয়টি মহানগরেই নভেম্বর মাস থেকে বাতাসের মান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পাওয়া যাচ্ছে। জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এ অবস্থা চলবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।বাতাসের মান বৃদ্ধি ও জনজীবনের ক্ষতির মাত্রা কমাতে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে আসছে। বিজ্ঞপ্তিতে নির্মাণকাজের সময় চারপাশ ঢেকে রাখা ও পানি ছিটানো, রাস্তা খোঁড়ার সময় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঢেকে রাখা, স্টিল, রি-রোলিং মিলস ও সিমেন্ট কারখানাগুলোয় বস্তুকণা নিয়ন্ত্রণমূলক যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও ধুলাবালি কমাতে বাড়ির চারপাশে সবুজায়ন করা, ইটভাটায় পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার, গাড়ি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা, যানজট এড়াতে ট্রাফিক আইন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের তথ্য হলো এ মৌসুমে হাঁপানি ও সিওপিডির রোগী ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সিওপিডিতে আক্রান্ত মানুষের খুসখুসে কাশি হয়। এরা অল্প পরিশ্রমেই হাঁপাতে থাকে, জোরে জোরে শ্বাস নেয় এবং রোগী প্রায়ই মনে করে তার দম বন্ধ হয়ে আসছে।বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী সাইফুদ্দিন বেননূর প্রথম আলোকে বলেছেন, ধূমপানের কারণে সিওপিডি হয়ে থাকলেও শহরাঞ্চলে রোগটির কারণ মূলত ধুলাবালি ও ধোঁয়া। তিনি ধুলা-ধোঁয়া থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেন এবং ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে বলেন।বাতাস ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’: বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন মনো-অক্সাইড, সিসা, নাইট্রোজেন অক্সাইড, ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড, পার্টিকুলেট ম্যাটার বা বস্তুকণা ও সালফার ডাই-অক্সাইড বায়ুদূষণ ঘটায়। তবে কেস প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ধুলাবালির মধ্যে থাকা বস্তুকণা মানুষের সবচেয়ে ক্ষতি করে।নিরাপদ মাত্রা কতটুকু এবং ক্ষতিকর বস্তুকণা সে তুলনায় কতটা বেশি তার ভিত্তিতে সারা বিশ্বে একই ধরনের সূচক ব্যবহার করেন বিশেষজ্ঞরা। একে বলা হয় ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ (একিউআই)। এ সূচি অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মধ্যম, ১০১-১৫০ সতর্কাবস্থা, ১৫১-২০০ অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-৫০০ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ২০ জানুয়ারি চারটি কেন্দ্রের গড় হিসাব অনুযায়ী ঢাকার বাতাসের মান ৩০৬, চট্টগ্রাম ৩২৮, খুলনা ৪১৫, গাজীপুর ৩১৭ এবং নারায়ণগঞ্জে ৫২৩। রাজশাহীর বাতাস ছিল মধ্যম মানের। তবে সিলেট ও বরিশালের তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি আরবান ল্যাবের হিসাবে প্রতি মাইক্রোগ্রাম বাতাসে ১-১২ মাইক্রোমিটার বস্তুকণা থাকার কথা। ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় এটি ছিল যথাক্রমে ২২৫, ১৮৪, ২১৪, ২০২ এবং ২২৩ মাইক্রোমিটার।পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকা শহরে নিয়মকানুন না মেনে রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ি এবং ভবন নির্মাণ করা হয়। যানবাহনগুলো পুরোনো এবং এগুলোর ইঞ্জিন তেল পুরোপুরি শোধন করতে পারে না, ফলে বাতাসে বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়ায়। মহানগরের চারপাশে মালার মতো থাকা অধিকাংশ ইটভাটা নিয়ম মেনে চলছে না।কেস প্রকল্পের পরিচালক এস এম মুনজুরুল হান্নান খান বলেন, ‘বায়ুদূষণ রোধে নির্দিষ্ট আইন ও বিধিমালা আছে। আইনে ক্ষতির মাত্রা বিবেচনায় দূষণকারীর ছয় মাস থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে। তবে সচেতনতা না বাড়ালে বায়ু দূষণ কমবে না। কিন্তু আইন না মেনে আমরা সবাই ক্ষতির শিকার হচ্ছি।’ | 194,530 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৪, ১৪:৩৩ | ২৪ এপ্রিল ২০১৪, ১৪:৩৪ | -1 | 0 | ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/200452 | আগামী তিন বছরের (২০১৫-২০১৭) জন্য জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় বুধবার এ বিষয়ে ভোট নেওয়া হয়।আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে জানানো হয়, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মতিতে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে জয়ের পর তাত্ক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচনে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে এটা সরকারের শিশু ও নারীদের উন্নয়নের বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বীকৃতি।স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শিশু ও নারীদের উন্নয়নে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ সব সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশকে একবাক্যে সমর্থন দিয়েছে। | 68,071 |
কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুলাই ২০১৪, ০০:৩১ | ২৮ জুলাই ২০১৪, ০০:৩৩ | কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/279151 | কুষ্টিয়ায় গমের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। দৌলতপুরের সীমান্তসংলগ্ন বিলগাথুয়া গ্রামে গতকাল রোববার সকালে এ সংঘর্ষ হয়।এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিলগাথুয়া গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম রাস্তা সংস্কার বাবদ টিআর প্রকল্পের দুই মেট্রিক টন গম বরাদ্দ নেন। কিন্তু কাজ না করে তিনি সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা সাইদুজ্জামানের সঙ্গে গতকাল সকালে কালামের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। | 81,359 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জুন ২০১৮, ১৯:০৫ | ২২ জুন ২০১৮, ১৯:০৭ | রাজনীতি,নির্বাচন,বিএনপি,আওয়ামী লীগ | null | নির্বাচন থেকে পালানোর পথ খুঁজবেন না, বিএনপিকে হাছান মাহমুদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1515566 | পরাজয় নিশ্চিত জেনে আগামী নির্বাচন থেকে বিএনপি পালাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিএনপিকে অনুরোধ জানাব দয়া করে নির্বাচন থেকে পালানোর পথ খুঁজবেন না। বিএনপিকে নিয়েই আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চায়। এবার নির্বাচন থেকে পালালে দেশ থেকেও পালিয়ে যেতে হতে পারে।’হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের প্রতীক বলছেন। খালেদা জিয়া সন্ত্রাস, দুনীতি আর ঘৃণার প্রতীক। তিনি রাজনীতির কারণে জেলে যাননি। তিনি দুর্নীতির কারণে জেলে গিয়েছেন। আওয়ামী লীগ এই নেতা জানান, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভায় আরও বক্তব্য দেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু প্রমুখ। | 367,997 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২০ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:১৭ | ২০ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:১৮ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর | 0 | এবার গুগলের স্মার্ট কনট্যাক্ট লেন্স | http://www.prothom-alo.com/technology/article/127012 | রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপের জন্য এবার বিশেষ ‘স্মার্ট কনট্যাক্ট লেন্স’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল। রোবট থেকে শুরু করে নতুন যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, গুগল গ্লাস ইত্যাদির পর এবার চিকিৎসা যন্ত্রপাতি নির্মাণে যুক্ত হচ্ছে গুগল। কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে স্মার্ট কনট্যাক্ট লেন্স তৈরির মাধ্যমে। চোখের পানি পরীক্ষার মাধ্যমে গ্লুকোজ পরিমাণ জানার ক্ষেত্রে এ লেন্স ব্যবহার করা যাবে।গুগল জানিয়েছে, লেন্সটির দুই স্তরের মাঝখানে ক্ষুদ্র একটি তারহীন চিপ বসানো হয়েছে। চিপে যুক্ত করা হয়েছে ছোট একটি গ্লুকোজ সেন্সর। এটিই গ্লুকোজের মাত্রা দেখে ফলাফল দেখাবে। এ লেন্সটিকে আরও ব্যবহার-উপযোগী করতে এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) প্রযুক্তি যোগ করা হতে পারে বলেও জানা গেছে। ফলে ব্যবহারকারীর অশ্রুতে গ্লুকোজের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে এলে আলোর বিশেষ সংকেত দেবে। বর্তমানে গ্লকোজ মাপার কাজটি রোগীর হাতের আঙুলের মাথা থেকে রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। গুগলের এ লেন্স এলে রক্ত নিতে হবে না। নতুন এ লেন্সটি ঠিক কবে বাজারে আসবে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ লেন্সটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি নিয়ে চলছে নানা ধরনের পরীক্ষা বলে নিশ্চিত করেছে গুগল। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজও করছে প্রতিষ্ঠানটি। —বিবিসি অবলম্বনে কাজী আলম | 45,000 |
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ মার্চ ২০১৬, ২৩:০৫ | ২৭ মার্চ ২০১৬, ২৩:০৮ | আইন ও বিচার | 0 | কিবরিয়া হত্যা: বিস্ফোরক মামলায় আরিফুলের জামিন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/811648 | সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যায় ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সিলেটের বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ রোববার হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ থেকে তিনি ১৫ দিনের এই জামিন পান।আদালত সূত্রে জানা গেছে, আরিফুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন আসামির অনুপস্থিতিতে আজ রোববার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ আদালতে ১৫ দিনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আরিফুল হক চৌধুরীর নিজের ও তাঁর মায়ের অসুস্থতার বিবরণ দিয়ে আদালতে এ আবেদন করেন আইনজীবী। পাশাপাশি তাঁর আইনজীবী উচ্চ আদালত থেকে পূর্বে ১৫ দিনের জামিন পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন আদালতকে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহর সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ১৫ দিনের জামিন মঞ্জুর করেন।হবিগঞ্জের সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল হক চৌধুরী এ জামিনের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরিফুল হক সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। ওই মামলাটি সিলেট বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চলমান আছে। একই ঘটনায় বিস্ফোরক মামলাটি চলছে হবিগঞ্জ জেলা জজ আদালতে। | 214,399 |
মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান | education | শিক্ষা | ০৫ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:১২ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৪, ০৫:০৪ | পড়াশোনা | 0 | জী ব বি জ্ঞা ন | http://www.prothom-alo.com/education/article/116002 | অধ্যায়-১১ প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ জীববিজ্ঞান বিষয়ের ১১ নম্বর অধ্যায় থেকে সৃজনশীল পদ্ধতির একটি নমুনা প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব।প্রশ্ন:ক. প্রজনন কাকে বলে?খ. শাঁস বা শস্য বলতে কী বোঝায়?গ. R অংশটি কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা করো।ঘ. P ও Q-এর মধ্যে কোনটি শুক্রাণু সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে? মতামত দাও।উত্তর: ক. যে প্রক্রিয়ায় জীব তার অপত্য বংশধর সৃষ্টি করে, তাকে প্রজনন বলে।উত্তর: খ. শস্য বা শাঁস হলো বীজের একটি অত্যাবশ্যক অবয়ব। বৃদ্ধিরত ভ্রূণের খাদ্য এ শস্যে জমা হয় এবং শস্য থেকেই ভ্রূণ খাদ্য আহরণ করে।ভ্রুণথলির সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে একটি পুংজনন কোষের মিলনের মাধ্যমে যে ট্রিপ্লয়েড কোষ গঠিত হয়, তা-ই শস্যের প্রথম কোষ। এ ট্রিপ্লয়েড কোষটি মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে শস্য গঠন করে।উত্তর: গ. R অংশটি ডিম্বাণু। এ ক্ষেত্রে ডিপ্লয়েড স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ থেকে মায়োসিস প্রক্রিয়ায় চারটি হ্যাপ্লয়েড স্ত্রীরেণু গঠিত হয়। এদের মধ্যে ওপরের তিনটি নষ্ট হয়ে যায় এবং নিচেরটি কার্যকরী থাকে।কার্যকরী স্ত্রীরেণু নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। নিউক্লিয়াস দুটি স্ত্রীরেণু কোষের দুই মেরুতে অবস্থান করে।প্রতিটি মেরুর নিউক্লিয়াস পর পর দুবার বিভাজিত হয়ে চারটি করে নিউক্লিয়াস গঠন করে। প্রতিটি নিউক্লিয়াস অল্প সাইটোপ্লাজম এবং হালকা প্রাচীর দ্বারা আবৃত থাকে। এ সময় স্ত্রীরেণু কোষটি একটি দুই মেরুযুক্ত থলির মতো অঙ্গে পরিণত হয় এবং এর প্রতিটি মেরুতে চারটি করে আটটি নিউক্লিয়াস থাকে। এ অবস্থায় প্রতিটি মেরু থেকে একটি করে নিউক্লিয়াস থলির মাঝখানে চলে আসে এবং পরস্পর মিলিত হয়ে থাকে, যাকে সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস বলে।ভ্রূণথলির যে মেরু ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে থাকে, সে মেরুর তিনটি নিউক্লিয়াসকে একত্রে ডিম্বাণু যন্ত্র বলে। ডিম্বাণু যন্ত্রের মাঝখানের নিউক্লিয়াসটি বড় থাকে। একে ডিম্বাণু বলে। এভাবে R অংশটি (ডিম্বাণু) সৃষ্টি হয়।উত্তর: ঘ. P চিহ্নিত নিউক্লিয়াসটি ছোট এবং Q চিহ্নিত নিউক্লিয়াসটি আকারে বড়। কাজেই P জনন নিউক্লিয়াস এবং Q নালিকা নিউক্লিয়াস।পরাগরেণু অঙ্কুরিত হলে ইন্টাইন বৃদ্ধি পেয়ে জার্মপোর দিয়ে নালিকার আকারে বাড়তে থাকে। একে পরাগনালিকা বলে। পরাগনালিকায় প্রথমে Q (নালিকা নিউক্লিয়াস) ও পরে P (জনন নিউক্লিয়াস) প্রবেশ করে। নালিকাটি গর্ভদণ্ডের ভেতর দিয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং গর্ভাশয়ের ভেতরে ডিম্বকরন্ধ্র পর্যন্ত যায়।অন্যদিকে, P (জনন নিউক্লিয়াস) মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দুটি পুংগ্যামেট বা শুক্রাণু সৃষ্টি করে। নিচে প্রক্রিয়াটি চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলো:সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে শুক্রাণু সৃষ্টিতে P অংশটি (জনন নিউক্লিয়াস) মুখ্য ভূমিকা পালন করে।প্রভাষক, রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা | 41,254 |
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব | opinion | মতামত | ১২ জুলাই ২০১৮, ১১:০৮ | ১২ জুলাই ২০১৮, ১১:০৮ | -1 | null | অধঃপতনের কালে পেশাজীবী সংকট | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1530901 | অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি একটি রাষ্ট্রকে জনগোষ্ঠীর মেধা ব্যবস্থাপনা বিষয়েও ভাবতে হয়। বুদ্ধি ও দূরদৃষ্টি দিয়ে স্তরে স্তরে তা সাজিয়েও থাকে। কৃষি ও শিল্প সম্পদের উৎপাদন ও বণ্টন, মানব ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন ধরনের সেবাকাজ সম্পাদন এবং নানাবিধ সমস্যা সমাধানের জন্যই এটা তাকে করতে হয়। এই মেধাব্যবস্থার ফসল হিসেবে সাধারণ ও উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে বহু ধারার পেশাজীবী তৈরি হয়। তাদের কাজ হয় সমন্বিত পরিকল্পনায় দূরদর্শী সাশ্রয়ী ও টেকসইভাবে সমুদয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা করা, দেশ ও সমাজের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে উতরানো এবং টেকসইভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া। এই পেশাজীবীদের মধ্যে কিছু মানুষ তৈরি হন, যাঁরা অবহেলিত কিংবা অনগ্রসর কিংবা বেখেয়াল সমাজকে আলোকিত করেন, সচেতনতা ছড়ান।মানবশরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মতোই যেকোনো সভ্য সমাজে সব পেশাজীবী অবদান সমান। কারণ, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। সবাই একসঙ্গে এবং সফলভাবে কাজ করলেই তবে সমাজ সফল হয়। এখানে কোনো পেশাই তুচ্ছ হতে পারে না। আপাতদৃষ্টিতে যে পেশাটিকে তুচ্ছ মনে হয়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ; কারণ তুচ্ছ সেই কাজটির ওপরও সমাজসেবা নির্ভরশীল থাকে। অর্থাৎ সমাজের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সব পেশাজীবী গুরুত্বপূর্ণ, হোক তা উচ্চ শিক্ষাজাত পেশা অথবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবিহীন প্রাকৃতিক শিক্ষাজাত পেশা। সমাজের সার্বিক উন্নয়ন তখনই সম্ভব হবে, যখন সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আন্তযোগাযোগ ফলপ্রসূ হবে এবং তা নৈতিক ও বোধগম্য হবে। এতে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটা ঠিক রেখে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও সহযোগিতায় সব পেশাজীবী মিলে ছোট-বড় সব সমস্যা সমাধানের আন্তরিক ও নিবেদিত চেষ্টা থাকবে। সাম্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে সমাজ বিনির্মাণে সব পেশা ও শ্রেণির মানুষকে সততার সঙ্গে দায়িত্বশীল এবং একই সঙ্গে মর্যাদাবান করার কোনো বিকল্প নেই।বাংলাদেশের প্রতিটা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ঘাটতি আছে। দায়িত্বশীলতার অভাব তো দেখা যায়ই, এমনকি নৈতিক মূল্যবোধও পড়তির দিকে। আমাদের সমাজে আমরা জ্ঞানী ও জ্ঞানহীন এবং উচ্চশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত—সবাই অন্যকে সমাজের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দিয়ে নিজেরা যার যার সাধ্যমতো ঘুষ খাচ্ছি, বেপরোয়া দুর্নীতি করছি। প্রকল্পের টাকা, অফিসের তহবিল, জনতার কর, গরিবের হক, মেহনতি মানুষের অধিকারসহ যেখানে যতটা পারা যায়, সেই মতো বখরা পাওয়ার অবিরাম সংগ্রামে লিপ্ত হয়ে লোভের কাছে নিদারুণভাবে নিজেদের মাথা সঁপে দিয়েছি। এই ব্যর্থতার, এই নির্লজ্জের এবং এই হতাশার শেষ নেই। এমন ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থায় আন্তঃপেশা সংকট তৈরি হওয়াও স্বাভাবিক। পেশাগত মানের অতি নিচু স্তরে যেখানে আর্থিক স্বার্থবাদিতা, অবৈধ ক্ষমতাবান হওয়া, নীতিহীনতা আর অব্যবস্থাপনা প্রাধান্য পায়, সেখানে এই সংঘর্ষ নিয়মিত হতে বাধ্য। এটা সমাজব্যবস্থার এবং একই সঙ্গে রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রকট ভঙ্গুরতার একটি লক্ষণ। অকার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে এখানে আন্তঃপেশা ভাগ-বণ্টন কিংবা সবাই মিলে লুণ্ঠনের চেষ্টা দৃশ্যমান থাকে। স্বার্থবাদিতা চরমে পৌঁছালে ঘুষ ও লুটের অর্থ বণ্টনের অনৈতিক বোঝাপড়াও ভেঙে পড়ে। শুরু হয় একক লুটের বেপরোয়া চেষ্টা। আর তার বলি হয় পেশাগত দায়িত্ব এবং নাগরিক সেবা। এই পর্যায়ে সব পেশার অধিকাংশ লোকেরাই দুর্নীতিতে ডুবে থাকে এবং নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রকে সমর্থন করে অন্যের ওপর ক্রমাগত দোষারোপ করে। এই অবস্থাটি দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির দেশে ক্ষমতার রাজনীতির কারিগরদের প্রতিরোধহীন অবাধ লুটপাট সহজ করে দেয়। উল্টো করে বলতে গেলে, প্রতিরোধহীন অবাধ লুটপাটকে সহজতর করতে দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব এই অবস্থার পরিকল্পিত বিকাশ ঘটায়। বাংলাদেশ ঠিক এই রকমের একটি দুর্বৃত্ত-ব্যবস্থার অতি উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।বাংলাদেশে পুলিশ, সাংবাদিক, বিচারক, আমলা, আইনজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, গবেষক, ছাত্র—প্রতিটি পেশায় ভয়ানক রকমের পচন ধরেছে। কেউ কারও চেয়ে কম যায় না। পেশাজীবীরা নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব পালন না করে সমস্যাগুলোকে একে অন্যের দিকে ঠেলে দৃশ্যমান কলহ ও বিবাদে জড়াচ্ছে, যদিও ভেতরে-ভেতরে যে যার সাধ্যমতো তহবিল তছরুপ করছে। এই ব্যবস্থা অপার সুযোগ সৃষ্টি করেছে ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদদের জন্য। রাজনীতিবিদরা সব পেশার সব অপকর্মকে সম্মিলিতভাবে লালন করে নিজেরা একচেটিয়া অর্থ লুটে সঁপে দিয়েছে জানপ্রাণ। শেয়ার লুট, ব্যাংক লুট, ঋণ জালিয়াতি, অবাধ পাচার ও আকাশছোঁয়া প্রকল্প ব্যয় থেকে থেকে ব্যয় বৃদ্ধি, অতি উচ্চ বাজেট ও ছোট-বড় সব কাজেই বেশুমার উচ্চ খরচের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ পেশাজীবীদের সব স্তর শুধু নিজ নিজ পেশাকে অবৈধ অর্থ যোগে উর্বর করছে না, পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে সব পেশার দুর্নীতি, লুটপাটকারী রাজনীতিকে উর্বর করছে। নিজ নিজ দুর্নীতি ঢাকতে রাজনীতিবিদেরা সময়ে সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশাজীবীদের সাময়িক সুরক্ষা দিচ্ছে, কেউ কেউ সুবিধাপ্রাপ্তিতে এগিয়ে থাকছে। কিন্তু সমুদয় ব্যবস্থা নাগরিকের জন্য কষ্টকর ও প্রাণঘাতীই নয়, সমাজের জন্যও তা চূড়ান্ত আঘাত হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে দেশের ক্ষমতাবলয় সৎ ও দূরদর্শী না হলে, দেশে সুশাসনের কাঠামো তৈরি করা না গেলে আর মুক্তি নেই। কিন্তু এই ভিত্তিতে পৌঁছাতে হলে সাধারণ ভুক্তভোগী নাগরিককে নৈতিক ও দূরদর্শী উপলব্ধি এবং আত্মোন্নয়নের মধ্য দিয়ে এক কঠিন সমাজসংস্কার ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের পথ পাড়ি দিতেই হবে।ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব: টেকসই উন্নয়ন কর্মী ও প্রকৌশলী। faiz.taiyeb@gmail.com | 370,228 |
আ ন ম আমিনুর রহমান | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:১৮ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:২১ | পরিবেশ | 0 | পরিযায়ী পিয়ং হাঁস | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1388611 | সাত-আট বছর আগে শীতকালে ঢাকা চিড়িয়াখানার লেকজুড়ে নানা প্রজাতির পরিযায়ী হাঁসের মেলা বসত। কিন্তু দিনে দিনে এদের প্রজাতি ও সংখ্যা কমে বর্তমানে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। ২০১০ সালে চিড়িয়াখানার লেকে মাত্র এক প্রজাতির ৩৪টি হাঁসের দেখা পাই। ২০১১ সালে ওখানে একই প্রজাতির ১৮টির দেখা পেয়েছিলাম। এরপর চিড়িয়াখানার লেকে কোনো পরিযায়ী হাঁসের দেখা পাইনি। গত কয়েক বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের লেকেও ছোট সরালি (Lesser Whistling Duck) ছাড়া আর কোনো প্রজাতির হাঁস চোখে পড়েনি। তবে, ওই প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়া হাওর এবং উপকূলীয় এলাকায় কয়েক বছর ধরে নিয়মিত দেখছি। দেখা পেয়েছি রাজশাহীর পদ্মার চরেও।এরা হলো পিয়ং হাঁস। ইংরেজি নাম Gadwall। Anatidae পরিবারভুক্ত এই হাঁসের বৈজ্ঞানিক নাম anus strepera. পিয়ং মাঝারি আকারের হাঁস। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৪১ সেন্টিমিটার ও ওজনে প্রায় ৭৪০ গ্রাম। হাঁসা ও হাঁসির পালকের রঙে ভিন্নতা রয়েছে। হাঁসার দেহে ধূসর, কালো ও বাদামির প্রাধান্য দেখা যায়। মাথা বেশ বড় ও চৌকোনা। প্রজননকালে হাঁসার পিঠ হয় ধূসর বাদামি। বুকে দেখা যায় গোল গোল নকশা। ঠোঁট ধূসর, পেট সাদা, লেজ ও লেজের তলা কালো। হাঁসির দেহের পালকের রং হাঁসা থেকেও বেশি বাদামি, অনেকটা যেন নীলশিরের (Mallard) হাঁসির মতো। ঠোঁটের দুপাশ কমলা। হাঁসা-হাঁসি উভয়েরই চোখ কালচে; পা ও পায়ের পাতা বাদামি হলুদ। প্রজননকাল ছাড়া অন্য সময় হাঁসার পিঠ কালচে। অপ্রাপ্তবয়ষ্ক হাঁসার বুকের কমলা রং ছাড়া বাদবাকি সবকিছু হাঁসির মতো।পিয়ং হাঁস সচরাচর দৃশ্যমান পরিযায়ী পাখি। মূলত উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্য এশিয়া ও সাইবেরিয়ার আবাসিক পাখি। স্বাদু ও লবণাক্ত পানির জলাভূমি, অগভীর হ্রদ, পুকুর, নদী ও মোহনায় বিচরণ করে। শীতে বাংলাদেশের হাওর, হ্রদ, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়। সাধারণত হাঁসের মিশ্র ঝাঁকে থাকে। জলজ উদ্ভিদের পাতা ও কাণ্ড, মূল, বিচি, কীটপতঙ্গ, শামুক-ঝিনুক-গুগলি, ব্যাঙ ইত্যাদি খায়। তবে প্রজননের আগে হাঁসি আমিষসমৃদ্ধ খাবার বেশি খায়।মে-জুলাই প্রজননকাল। এ সময় জলাশয় বা অগভীর হ্রদের আশপাশের তৃণভূমি বা ঝোপঝাড়ে শুকনো ঘাস, পাতা ও ঝরা পালক দিয়ে বাসা বানায়। হাঁসি হালকা পীতাভ রঙের ৭-১২টি ডিম পাড়ে, যা ২৪-২৭ দিনে ফোটে। ডিমে হাঁসিই বেশির ভাগ সময় তা দেয়। বাচ্চারা ৪৯-৭০ দিনে উড়তে শেখে ও গড়ে এক বছরে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। | 348,230 |
-1 | sports | খেলা | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০৯ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১০ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | বালোতেল্লির রান্না | http://www.prothom-alo.com/sports/article/307075 | ম্যানচেস্টার সিটিতে যত দিন ছিলেন, হেঁশেলের ধারকাছ দিয়েও যাননি। হয় বাইরে থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন বা কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে এসেছেন। মারিও বালোতেল্লি আবার ফিরে এসেছেন ইংল্যান্ডে। এবার ঠিক করেছেন, মাঝেমধ্যে রান্না করবেন। কিন্তু খ্যাপাটে এই ইতালিয়ান স্ট্রাইকার একদমই রাঁধতে পারেন না। গত নভেম্বরে ইতালিয়ান একটি টিভিতে রান্নার এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানেই স্বীকার করেছিলেন, কখনো রান্নাঘরের কুটোটিও নেড়ে দেখেননি। তাঁর মা নাকি এতটাই ভালো রান্না করতেন, সেটা করার দরকারই হয়নি। কিন্তু ইংল্যান্ডে তো মা নেই, সব সময় আর বাইরে খাওয়াও যায় না। বালোতেল্লি তাই ঠিক করেছেন রান্নার ক্লাসে ভর্তি হবেন। এএনআই। | 89,680 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৫ জুলাই ২০১৫, ২১:৫৪ | ১৫ জুলাই ২০১৫, ২৩:১৮ | চলচ্চিত্র | null | ব্যয়বহুল ‘বাহুবলী’র প্রথম সপ্তাহেই আয় ১২০ কোটি রুপি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/578839 | প্রথম সপ্তাহেই ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র ‘বাহুবলী’র আয় ১০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ছবিটির আয় ১২০ কোটি রুপি। আজ বুধবার এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার তেলেগু, তামিল ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।‘‘বাহুবলী’র’ এ আয় পুরো বিশ্ব থেকেই। তবে ভারতের যেসব স্থানে চলচ্চিত্রটি তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে, সেসব স্থান থেকেই চলচ্চিত্রটি ৬৫ কোটি রুপি আয় করেছে। এস এস রাজামৌলি পরিচালিত এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ২৫০ কোটি রুপি। গত বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী চার হাজার সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির প্রথম দিনেই ৫০ কোটি রুপি আয় করে মুক্তির প্রথম দিনে আয়ে আগের রেকর্ড ভেঙে দেয় রাজামৌলির ‘বাহুবলী’। এর আগে শাহরুখ খান অভিনীত চলচ্চিত্র ‘হ্যাপি নিউ ইয়ারের’ দখলে রেকর্ডটি ছিল।২০১৩ সালে অন্ধ্র প্রদেশের হায়দরাবাদে এই চলচ্চিত্রটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে মুক্তির আগে থেকেই চলচ্চিত্র অনুরাগী, বোদ্ধা-সমালোচকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে ‘বাহুবলী’। আর মুক্তি পাওয়ার পর এ চলচ্চিত্রের টিকিট সংগ্রহ করতে দেড় কিলোমিটার লম্বা সারিও তৈরি হয়।তেলেগু ছবির জনপ্রিয় নায়ক প্রভাস ছাড়াও এ চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন রানা দুগ্গুবাতী, তামান্না ভাটিয়া ও আনুষ্কার শেট্টি।আরও পড়ুন: ২৫০ কোটি রুপির ‘বাহুবলী’ নিয়ে ভারতে হইচইভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবির গল্প | 152,917 |
সম্পাদকীয় | opinion | মতামত | ১৩ আগস্ট ২০১৩, ০২:০৯ | ১৩ আগস্ট ২০১৩, ০২:১০ | মতামত,সম্পাদকীয়: | null | ঈদের মাশুল ৪৩টি প্রাণ! | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/37760 | ঈদ আনন্দের উত্সব। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মহা আনন্দে উত্সব উদ্যাপনের জন্য মানুষ শহর ছেড়ে গ্রাম-মফস্বলে যায়। দেশজুড়ে আনন্দময় উত্সবের এই আবহে হঠাত্ কোথাও কোথাও নেমে আসে সীমাহীন দুঃখশোক। হ্যাঁ, এবার ঈদুল ফিতর উত্সবের আগে-পরের চার দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা হারিয়েছি ৪৩ জন মানুষকে। এই আকস্মিক মৃত্যুগুলো অনেক পরিবারকে ভাসিয়েছে শোকের সাগরে। শুধু তা-ই নয়, অনেক পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার কারণে সেসব পরিবারের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।দুর্ঘটনা সব সময়ই দুর্ঘটনা। কিন্তু চার দিনে ৪৩ জন মানুষের প্রাণ হারানো, অন্তত ২১০ জনের আহত হওয়া সাধারণ ব্যাপার নয়। এই দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছেন একই পরিবারের নয়জন সদস্য।রাজনৈতিক সহিংসতাসহ নানা রকম গোলযোগে পাঁচ-দশজন মানুষের মৃত্যু হলে দেশজুড়ে মানুষ বেশ নাড়া খেয়ে যায়। অবশ্যই তা নাড়া খাওয়ার বিষয়; কারণ প্রত্যেক মানুষের প্রাণ অমূল্য। কিন্তু প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় কত মানুষের প্রাণ ঝরে যায়, সেদিকে আমরা তেমন খেয়াল করি না। প্রতিদিনের মোট মৃত্যুর হিসাবও আমাদের সামনে থাকে বলে গুরুত্ব সহজে উপলব্ধি করা হয় না। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা আসলেই এ দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় ঘটছে। আর ঈদের মতো উত্সবগুলোর আগে-পরে সড়ক দুর্ঘটনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।কিন্তু এত ব্যাপক মাত্রার দুর্ঘটনা কি আসলেই অনিবার্য? মোটেও তা নয়। অনেক দুর্ঘটনাই এড়ানো সম্ভব, যদি আমরা আরেকটু সচেতন ও সতর্ক হই। যানবাহনের চালকদের মধ্যে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা বিরাট এক সমস্যা; ঈদের সময় এই প্রবণতা যেন লাগামছাড়া হয়ে ওঠে। উপরন্তু অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করার ফলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কে কার আগে যাবে—এই প্রতিযোগিতা হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী। তা ছাড়া মহাসড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই।কিন্তু এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। ঈদের সময় মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও চালকদের সতর্কতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। | 8,895 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪৫ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪৬ | চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | চট্টগ্রামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/841795 | ১৮ হাজার ডলার বিদেশে পাচার, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় চট্টগ্রামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এম এইচ রহমতউল্লাহ নগরের আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আমদানি বা রপ্তানিকারকের পক্ষে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান (সিঅ্যান্ডএফ) ‘কার্গো মুভারস অ্যান্ড প্যাকার্স’-এর মালিক আবদুল আউয়াল ও কর্মচারী মো. আবুল হাশেম।আবদুল আজিজ ভুঁইয়া বলেন, জাল ও ভুয়া এলসি খুলে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনা ও ১৮ হাজার ডলার বিদেশে পাচারের কারণে গত বছরের ২৩ এপ্রিল এই দুজনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। | 224,135 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৪ জুন ২০১৬, ১৫:০৭ | ১৪ জুন ২০১৬, ১৫:১১ | খবরাখবর | null | নতুন যা আনল অ্যাপল | http://www.prothom-alo.com/technology/article/887773 | ২৭তম বার্ষিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস সম্মেলনে চারটি প্রধান অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে ‘ডব্লিউডব্লিউডিসি ২০১৬’ নামের ডেভেলপার সম্মেলনে আইওএস ১০, ম্যাক ওএস সিয়েরা, ওয়াচ ওএস ৩, সিরির হালনাগাদ সংস্করণসহ কয়েকটি সফটওয়্যারের হালনাগাদ করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের কর্মকর্তারা।অ্যাপলের পক্ষ থেকে কিনোট উপস্থাপনায় বলা হয়, তাদের ম্যাকবুকের জন্য তৈরি ওএস এক্স সফটওয়্যারটিকে নতুন করে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে। ওএস এক্স হবে ম্যাক ওএস। পরবর্তী সংস্করণটিকে বলা হবে ম্যাক ওএস সিয়েরা। আগামী জুলাই মাসে এর বিটা সংস্করণ উন্মুক্ত হবে। এতে নতুন ফিচার হিসেবে এসেছে অ্যাপল ওয়াচ দিয়ে ম্যাকবুক আনলক করার সুবিধা। এ ছাড়া এতে সব ডিভাইসে কাজ করার জন্য উইনিভার্সাল ক্লিপবোর্ড সুবিধা ও সিরি সফটওয়্যার সমর্থন সুবিধা যুক্ত হচ্ছে।অ্যাপল তাদের মোবাইল ও ট্যাবের অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে বড় ধরনের উন্নয়ন করার ঘোষণা দিয়েছে। আইওএস ১০ নামের নতুন সংস্করণটি ডেভেলপার প্রিভিউ নামে উন্মুক্ত করা হলেও জুলাই মাসে বিটা সংস্করণটি ছাড়বে অ্যাপল।‘সবচেয়ে বড় আইওএস উন্মুক্ত করার ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে আইওএসের ক্ষেত্রে ১০টি বড় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। এ ১০টি পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে লক স্ক্রিনের নতুন নকশা, যাতে নোটিফিকেশন সিস্টেম আরও উন্নত হবে। এ ছাড়া রয়েছে অ্যাপ দিয়ে দ্রুত যোগাযোগ, উন্নত থ্রিডি টাচ, সিরি এপিআই বা সিরি ব্যবহার করে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ, উন্নত ভার্চ্যুয়াল কি-বোর্ড, উন্নত ফটো অ্যাপ, উন্নত অ্যাপল ম্যাপ, মিউজিক অ্যাপ, নিউজ অ্যাপ, হোমকিট, ভয়েস মেইল ট্রান্সক্রিপ্ট অ্যাপ, উন্নত মেসেজিং অ্যাপ প্রভৃতি।ডেভেলপার সম্মেলনে ওয়াচওএসের উন্নত সংস্করণ ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। ওয়াচওএস ৩ সংস্করণে দ্রুত অ্যাপ খোলার ফিচারসহ, কন্ট্রোল সেন্টার, দ্রুত বার্তার উত্তর দেওয়ার সুবিধাসহ এতে যুক্ত হয়েছে রিমাইন্ডারস ও ফাইন্ড মাই ফ্রেন্ডস সুবিধা। এতে এসেছে এসওএস বা জরুরি নম্বরে কল করার সুবিধাটিও।টিভিওএসেরও উন্নত সংস্করণ আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। | 231,960 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ নভেম্বর ২০১৫, ০২:৪৪ | ২২ নভেম্বর ২০১৫, ০২:৪৫ | কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বাল্যবিবাহ বন্ধ করা গেলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/690412 | বাল্যবিবাহ ও দরিদ্রতার কারণে বিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। এটি রোধ করা না গেলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে। এ জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। গতকাল শনিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে ‘শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার কারণ ও রোধকল্পে করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দীন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আনোয়ারুল নাসের, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ মামুন।আলোচলায় অংশ নেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিং অং, বদরখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম, কক্সবাজার কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাফর উল্লাহ নুরী, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন, কক্সবাজার বায়তুশশরফ জব্বারিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. ছৈয়দ করিম, কক্সবাজার কেজি অ্যান্ড মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী, শিক্ষার্থী তৃষা শর্মা, আরিফুল ইসলাম, আহসান হাবিব প্রমুখ।প্রধান অতিথি মো. নুরুল আমিন বলেন, বাংলাদেশে ৭৩ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে ১৮ বছরের আগে। বাল্যবিবাহের পর পারিবারিক কলহ ও বিবাহবিচ্ছেদের কারণেও অনেক মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গম এলাকায় যাতায়াত সমস্যার কারণেও কিছু শিক্ষার্থীর মাঝপথে লেখাপড়া বন্ধ হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা থেকে কেউ যাতে বাদ না পড়ে, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কাজ করছে। ২ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব না হলে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দরিদ্র মেধাবী ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি ও উপবৃত্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ভূমিকা রাখছে। এ জন্য ঝরে পড়া রোধ করতে হবে। মাদ্রাসা, কলেজ ও স্কুল পর্যায়ে ঝরে পড়ার কারণ নির্ণয় করে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বাল্যবিবাহ, ইভ টিজিং, দুর্গম যাতায়াত, দরিদ্রতা, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে। | 176,693 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৭ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:০৭ | যুক্তরাষ্ট্র,এশিয়া,ডোনাল্ড ট্রাম্প,কিম জং উন,উত্তর কোরিয়া | 0 | কিমের কাছে ট্রাম্পের চিঠি | http://www.prothom-alo.com/international/article/1574661 | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লেখা চিঠি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের কাছে পৌঁছেছে। কোরীয় উপদ্বীপ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে চলমান আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।ওই সূত্র বলছে, দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকের সমঝোতার বিস্তারিত নিয়ে এই চিঠি। ওয়াশিংটন থেকে চিঠিটি হাতে হাতে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্রের মতে, উত্তর কোরিয়ার সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার অন্যতম শীর্ষ আলোচক কিম ইয়ং চোল শিগগিরই ওয়াশিংটন সফর করবেন। সম্ভবত, এ সপ্তাহেই তা হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প-কিম আসন্ন বৈঠকের বিস্তারিত বিষয় চূড়ান্ত করাই তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য।এর আগে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় বৈঠকের স্থান হিসেবে ব্যাংকক, হ্যানয় ও হাওয়াইয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়ে গত সপ্তাহেই নিজের সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। তিনি বলেন, সম্প্রতি এক চিঠিতে কিম শিগগিরই সিউল সফরের কথা তাঁকে জানিয়েছেন। তাঁর ও ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক হবে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ক্ষেত্রে বিরাট অগ্রগতি।বিশ্বের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে গত বছর ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে কমিউনিস্ট এই রাষ্ট্র। বেইজিং সফরের মধ্য দিয়ে আলোচনার পথে যাত্রা করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম। এরপর কিম ছয় দশকেরও বেশি সময়ের বৈরিতাকে পেছনে রেখে গত বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় ঐতিহাসিক সফর করেন।মুনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পাশাপাশি গত বছরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন। চলতি বছরেও কিমের এই উদ্যোগ অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহেই আকস্মিক সফরে চীনে যান কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি লেখার পর কিম এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে চিঠি পেলেন। এসব ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে, এ বছরও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাবেন কিম।আরও পড়ুন:ট্রাম্প-কিমের বৈঠকে কী হলো?কিম উনকে ভালোবাসার বার্তা দিলেন ট্রাম্পট্রাম্প-উন-পুতিন-বিন সালমান যেন সিনেমার চার চরিত্র | 387,042 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ জুলাই ২০১৫, ১৩:২৭ | ২০ জুলাই ২০১৫, ১৭:৩৯ | আইন ও বিচার,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | চট্টগ্রামে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় উচ্ছেদ শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/580723 | চট্টগ্রাম নগরে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। গত শনিবার রাতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ও দেয়ালধসে পাঁচ শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যুর পর আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আফজাল হোসেন। তাঁর ভাষ্য, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁদের একটি স্কুলে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।এই দুর্ঘটনার পর গতকাল রোববার রাতে নগরের মুরাদপুরের ফরেস্ট গেট এলাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন সাইফুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদিন। পৈতৃক সম্পত্তির সূত্রে তাঁরা ধসে যাওয়া বাড়িগুলোর মালিক। বাড়ির মালিক চার ভাইকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। বাড়ির মালিক ও মামলার প্রধান আসামি মঈনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আরেক আসামিও পলাতক।বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের ভাষ্য, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় তৈরি বাড়িগুলোর পৈতৃকসূত্রে মালিক ওই চার ভাই। অবহেলাজনিত মৃত্যুর ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে।গতকাল শনিবার গভীর রাতে বৃষ্টির সময় নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর আমিন কলোনি ও লালখান বাজার পোড়া কলোনিতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়।আরও পড়ুন:-চট্টগ্রামে ধসে পড়া বাড়ির মালিক দুই ভাই গ্রেপ্তারপাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু | 153,729 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৭ মার্চ ২০১৬, ০০:৪২ | ২৭ মার্চ ২০১৬, ০০:৪৩ | বিনোদন | 0 | নাট্য দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন ফেরদৌসী মজুমদার | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/810889 | আজ বিশ্ব নাট্য দিবস। এ বছর সম্মিলিতভাবে দিবসটি উদ্যাপন করবে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, আইটিআই (বাংলাদেশ কেন্দ্র), বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান জানান, আজকের আয়োজনটি হবে বেইলি রোডের নাটক সরণির মহিলা সমিতি মিলনায়তনে। এ বছর অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদারকে বিশ্ব নাট্য দিবস সম্মাননা দেওয়া হবে।১৯৬১ সালের জুন মাসে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত আইটিআইয়ের নবম কংগ্রেসে বিশ্ব নাট্য দিবস প্রবর্তনের প্রস্তাব নেওয়া হয়। দিন-তারিখ নির্ধারণের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত হয়, ২৭ মার্চ প্রতিবছর বিশ্ব নাট্য দিবস উদ্যাপিত হবে। বাংলাদেশে ১৯৮২ সাল থেকে দিনটি উদ্যাপিত হয়ে আসছে। | 214,616 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ আগস্ট ২০১৬, ১৭:৩৭ | ০৪ আগস্ট ২০১৬, ১৭:৫০ | রাজনীতি | null | জামায়াত ছেড়ে বিএনপিকে রাস্তায় নামার পরামর্শ সিপিবির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/935614 | চা চক্র না করে জামায়াতকে ছেড়ে দিয়ে বিএনপিকে রাস্তায় নামার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ।সম্প্রতি জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে চা চক্র শুরু করছেন আজ থেকে। সিপিবির সঙ্গেও বিএনপি অনানুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।এ প্রসঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর বলেন, বিএনপির চা চক্রের কী দরকার? ইচ্ছা থাকলে, আন্তরিকতা থাকলে তারা রাস্তায় নামতে পারে। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চা চক্রের দরকার নেই। আপনারা আপনাদের মতো কাজ করেন। জামায়াতকে পরিত্যাগ করেন। আপনারা রাস্তায় নামেন।’ | 246,286 |
হবিগঞ্জ ও জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:০৯ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:১০ | হবিগঞ্জ,মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | লাখাই ও কুলাউড়ায় দুই ব্যক্তি খুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1076645 | হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বাড়ির রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে গত সোমবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাগর মিয়া (২৫) নামের এক তরুণ খুন হয়েছেন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় রিমন মিয়া (৩২) নামের এক পানচাষিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুঁতিগুঁতি গ্রামের বাসিন্দা এলাইছ মিয়ার ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাখাই উপজেলার পূর্ব বামৈ গ্রামের আজিজ মিয়ার সঙ্গে একটি রাস্তা নির্মাণ নিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই একই গ্রামের তানভীর ও তাঁর মা মিতফুল বেগমের বিরোধ চলছিল। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন এক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ছুরিকাঘাতে সাগর মিয়া নামের এক তরুণ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। খবর পেয়ে লাখাই থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।এ ঘটনায় সাগরের ভাই আজিজ ও বারিক আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে তানভীর ও তাঁর মা মিতফুল বেগমকে আটক করে।কুলাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, রিমন বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী কর্মধা ইউনিয়নে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু টিলাভূমি ইজারা নিয়ে তিন-চার বছর আগে সেখানে পান চাষ শুরু করেন। গত রোববার বিকেলে তিনি পানখেতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তাঁর খেঁাজ মিলছিল না। মুঠোফোন বন্ধ পান স্বজনেরা। সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন পানখেতের পাশে পাহাড়ি ছড়ার ধারে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। | 291,515 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জুলাই ২০১৭, ০৪:০১ | ০৩ জুলাই ২০১৭, ০৪:০১ | সরকার | null | চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণকক্ষ খুলেছে সরকার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1236246 | আইইডিসিআরে গত তিন মাসে ৬৪৩ জনের রক্ত ও লালার নমুনা পরীক্ষাএতে দেখা গেছে চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত ৫১৩ জনচিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখান থেকে সারা দেশে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজগুলো করা হবে।গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) আয়োজিত সভায় এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ সোমবার থেকে এর কাজ শুরু হবে।গত তিন মাসে ৬৪৩ জন ব্যক্তির রক্ত ও লালার নমুনা পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। এর মধ্যে ৫১৩ জন চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হয়েছে সংস্থাটি। দেশে একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানেই চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করার প্রযুক্তি আছে। সাধারণ মানুষ এটা জানে না বলে এখানে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ কম বলে কর্মকর্তারা মনে করেন।এ বছর কী পরিমাণ মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, তার কোনো অনুমিত পরিসংখ্যান আইইডিসিআরে নেই। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষায় যত জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা তার বেশি। অনুমিত সংখ্যা জানার জন্য আমরা জরিপ শুরু করেছি। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে জরিপের তথ্য আমরা জানাতে পারব।’গতকালের সভা শেষে প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে সারা দেশে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজগুলো করা হবে। চিকুনগুনিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ এখান থেকে দেওয়া হবে। মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনকে সহায়তা ও গণমাধ্যমকে হালনাগাদ তথ্য দেওয়ার কাজও এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে দেওয়া হবে।চিকুনগুনিয়া ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এর কোনো টিকা নেই। তাই প্রতিরোধই উত্তম পন্থা। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে ডেঙ্গুর মতোই আকস্মিক জ্বর, সঙ্গে ত্বকে ফুসকুড়ি বা দানা হয়। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন গিরায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ডেঙ্গু হলেও শরীর ব্যথা করে, তবে খুব তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হয় না।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব স্থায়ী হবে। এ বছর ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও আগামী বছরগুলোতে দেশের অন্য জেলায় তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে চিকুনগুনিয়ার প্রভাব থাকবে। ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ, লালমানিরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ে তিনজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তিনজনই ঢাকা থেকে ওসব অঞ্চলে গিয়েছিলেন। তবে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য সঠিক ছিল না। তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে বহু মানুষ ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় গেছে। সে ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি আছে।আইইডিসিআরের কর্মকর্তারা চিকুনগুনিয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গুর ব্যাপারেও সতর্ক থাকার কথা বলেছেন। এই বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। একই এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ছড়ায়। চিকুনগুনিয়াতে না হলেও ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যায়। চিকুনগুনিয়ার পরীক্ষা না করালে ক্ষতি নেই। চিকিৎসক লক্ষণ দেখেই চিকিৎসা করাতে পারেন। কিন্তু এখন জ্বর হলেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া নিরাপদ। | 323,856 |
আনিসুল হক | opinion | মতামত | ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ০৯:৩৬ | ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ০৯:৪২ | অরণ্যে রোদন,আনিসুল হক,লেখকের কলাম,রাজনীতি | null | গণতন্ত্র নাকি উন্নয়ন? কেন নয় দুই–ই | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1372356 | আনিসুজ্জামান স্যারের একটা কথা তাড়িয়ে ফিরছে। জীবনানন্দ দাশের কবিতার ভাষায় বলতে হয়, ‘আমি তাকে পারি না এড়াতে।’ ৮ নভেম্বর সংবিধান দিবসের আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আজ মনে হয়, ১৯৭১ থেকে আমরা দূরে, বহু দূরে চলে এসেছি এবং ১৯৭১-এর পূর্ববর্তী ২৪ বছরের সংগ্রাম ও অর্জনের ধারার সঙ্গে তুলনা করলে তার পরবর্তী ৪৬ বছরের ধারাকে পশ্চাদপসরণ ও বিসর্জনের ইতিহাস বলতে হবে।’আনিসুজ্জামান স্যারের কথা দুর্ভাবনা বাড়ায়। স্বাধীনতার ৪৬ বছরে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্যহীনতা, মানবাধিকার—এসব ক্ষেত্রে আমরা আসলেই এগোলাম, নাকি পেছালাম?মনে সান্ত্বনা আনার চেষ্টা করি। সৈয়দ শামসুল হকের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলাম একবার। সৈয়দ শামসুল হক বলেছিলেন, মানুষের ইতিহাসকে দুই-চার বছরের মাপকাঠি দিয়ে মেপো না। হাজার বছরের ইতিহাসে দুই-চার-দশ বছরে মনে হতে পারে আমরা পেছাচ্ছি, কিন্তু সার্বিকভাবে মানুষের ইতিহাস হলো এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।কিন্তু সান্ত্বনা তো পাই না। পাল্টা মনে পড়ে নাজিম হিকমতের কবিতা:জেলে এলাম সেই কবেতার পর গুনে গুনে দশ-বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছে পৃথিবী।পৃথিবীকে যদি বলো, বলবে—‘কিছুই নয়,অণুমাত্র কাল।’আমি বলব—‘না, আমার জীবনের দশটা বছর।’যে বছর জেলে এলামএকটা পেন্সিল ছিললিখে লিখে ক্ষইয়ে ফেলতে এক হপ্তাও লাগেনি।পেন্সিলকে জিজ্ঞেস করলে বলবে:‘একটা গোটা জীবন।’আমি বলব:‘এমন আর কী, মোটে তো একটি সপ্তাহ।’৪৬ বছর মহাকালের বিচারে হয়তোএকটা বুদ্বুদমাত্র, কিন্তু আমাদের তো সমস্তটা জীবন।আরেকটা সেমিনারে উচ্চারিত কিছু কথা থেকে উদ্ধৃতি দিই।১৮ নভেম্বর সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত এক সেমিনারে অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে, বিশেষত ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের মধ্যে একটি বিভাজন রেখা টানা হচ্ছে এবং এদের পরস্পরের বিকল্প বা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই উল্লেখ করা হচ্ছে। এই ধারণার আলোকে ক্ষমতাসীন দল ও তার সমর্থকদের বক্তব্য হচ্ছে যে প্রচলিত গণতন্ত্র রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করে, যা উন্নয়নের পথে বাধাস্বরূপ। ফলে ‘কম গণতন্ত্র, বেশি উন্নয়ন’-এর পথই দেশের জন্য ইতিবাচক।’ (কালের কণ্ঠ, ১৯ নভেম্বর ২০১৭) এই সেমিনারেই আকবর আলি খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণি গড়ে উঠেছে রাষ্ট্রের আনুকূল্যে। ফলে এখানে অনেক দুর্বলতা রয়ে গেছে।’ রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বিষয়ে তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে হইচই শুধু বাংলাদেশে নয়, সব দেশেই আছে। এটি দূর করা সম্ভব নয়। আবার ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ পুরোনো পথেই আছে। ফলে এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করতে হবে। (প্রথম আলো, ১৯ নভেম্বর ২০১৭)আলী রিয়াজ যে প্রসঙ্গটা এনেছেন, উন্নয়ন নাকি গণতন্ত্র, এ ধরনের একটা কথা আজকাল শোনা যায় বটে। পাশাপাশি আরেকটা বাছাই আমাদের করতে বলা হয়, জঙ্গিবাদমুক্তি বনাম গণতন্ত্র, যেকোনো একটা বেছে নিতে হলে কী করবে?আশার কথা হলো এই সেমিনারেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গণতন্ত্র নয়, উন্নয়ন আগে—এটা আওয়ামী লীগের বক্তব্য নয়।আকবর আলি খান যা বলেছেন, তা-ও আমলে নেওয়ার মতো। এক পদ্মাবতী ছবি নিয়ে মোদির দেশ ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা যা করছে, তাতেউদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় থাকে না। অরুন্ধতী রায় তাঁর মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস উপন্যাসে একটা কাহিনি লিখেছেন: একজন দলিত, চর্মকার খবর পান যে একখানে একটা গরু মরে পড়ে আছে। তিনি একটা টেম্পোতে তুলে সেই গরু নিয়ে ফিরছিলেন। গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাকে থানায় নেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করে, সেই চর্মকারকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। আমরা সান্ত্বনা পাওয়ার চেষ্টা করতে পারি এ কথা ভেবে যে এটা নিছকই বানানো গল্প, সত্য নয়। কিন্তু সংবাদপত্রের পাতায় যেসব খবর প্রকাশিত হয়, তা এর চেয়ে কম ভয়াবহ নয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইতে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের পর তাঁর উপলব্ধি কী হয়েছিল, তা লিখে রেখেছেন। ‘এই নির্বাচনে একটা জিনিস লক্ষ করা গেছে, জনগণকে ‘ইসলাম ও মুসলমানের নামে’ ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।’ বঙ্গবন্ধুর ওই উপলব্ধি থেকে আমাদের উপলব্ধি আলাদা হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। তখনকার সমাজ থেকে আজকের সমাজ পিছিয়ে গেছে, এমন ভাবনার কারণ নিশ্চয়ই ঘটে, তবে তা থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়াসংগত হবে না। ভারতে মোদি, যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প, ব্রিটেনে ব্রেক্সিট—সব মিলিয়ে হতাশ হওয়ার মতোই তো পরিস্থিতি।এই অবস্থায় বাংলাদেশে আমাদের পথ আর পাথেয় হওয়া উচিত আরও বেশি গণতন্ত্র। মানবাধিকার। আইনের শাসন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা। অসাম্প্রদায়িকতা। এটা যেমন সরকারের দিক থেকে, তেমনি জনগণের দিক থেকে, সামাজিক শক্তিগুলোর দিক থেকে, পেশাজীবীদের দিক থেকে।মনে হতে পারে, জঙ্গিবাদ নির্মূলে, রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে গণতন্ত্রের প্রশ্নে কিংবা মানবাধিকারের প্রশ্নে কিংবা বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে খানিকটা ছাড় বোধ হয় দেওয়া যেতেই পারে। একই কথা বলা হয়ে থাকে উন্নয়নের প্রশ্নেও। যে উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বুলি বিসর্জন দেওয়া যেতেই পারে। অমর্ত্য সেন এ বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা করেছেন। তিনি তাঁর উন্নয়ন ও স্ব-ক্ষমতা বইয়ে ‘গণতন্ত্রের গুরুত্ব’ নামের প্রবন্ধটা শুরু করেছেন সুন্দরবনের মৌয়ালদের কথা দিয়ে। সুন্দরবনে যাঁরা মধু সংগ্রহ করতে যান, এক বোতল মধু বিক্রি করে তাঁরা পান ৫০ সেন্ট, কিন্তু প্রতিবছর প্রায় ৫০ জন মৌয়াল বাঘের কামড়ে মারা যান।এখন প্রশ্ন হলো মৌয়ালদের জীবন আগে, নাকি জীবিকা আগে? যেসব মানুষ জীবিকার নিশ্চয়তার জন্য নিজেদের জীবন প্রতিবছরই দান করে যাচ্ছে, জীবিকার নিশ্চয়তার জন্য তারা কি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিসর্জন দিতে প্রস্তুত নয়? অমর্ত্য সেনই জানাচ্ছেন, সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ এই মতবাদ প্রবর্তন করেছেন যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার অর্থনৈতিক বিকাশ ও উন্নয়নের পক্ষে ক্ষতিকর। অমর্ত্য সেন তাঁর এই প্রবন্ধে এবং আরও অনেক প্রবন্ধে বারবার করে বলছেন, গণতন্ত্র মোটেও উন্নয়নের জন্য বাধা নয়, বরং গণতন্ত্র থাকলেই উন্নয়ন টেকসই হয়।আমাদের কেন গণতন্ত্র আর উন্নয়নের মধ্য থেকে কেবল একটিকে বেছে নিতে বলা হবে? কেন গণতন্ত্র ও জঙ্গিবাদমুক্তি থেকে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে? এ যেন একজন শিশুকে বলা যে তোমার বাবা আর মায়ের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে বেছে নাও। যেকোনো বুদ্ধিমান শিশুর মতো আমরাও বলব, আমরা দুটোই চাই।শুনতে ভালো লাগে যে আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গণতন্ত্র নয়, উন্নয়ন—এ কথা আওয়ামী লীগ বলেনি। এবং এটা শুনে আরও ভালো লাগল যে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে দেশে স্বৈরশাসন চলে; গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, জবাবদিহির অভাব থাকে; সে দেশে দুর্নীতির শিকড় গেড়ে যায়। সেই শিকড় উপড়ে ফেলা কঠিন হয়ে যায়। বর্তমান সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে স্বৈরশাসন, সেনাশাসন, অবিচার, অত্যাচার; যার কারণে এখনো দুর্নামের ভাগীদার হতে হচ্ছে।’শেখ হাসিনা যা বলেছেন, অমর্ত্য সেন প্রায় সেই কথাই পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠাজুড়ে লিখে রেখেছেন। গণতন্ত্র না থাকলে দুর্নীতি আসে, জবাবদিহি না থাকলে দুর্নীতি আসে, উন্নয়ন ব্যাহত হয়। জনগণের চাওয়া-পাওয়া অভাব-অভিযোগ প্রকাশ করতে দিতে হবে নির্ভয়ে, বাধাহীনভাবে। এটা কেবল মানুষের মৌলিক অধিকার বলেই নয়, এটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়, উন্নয়ন নিশ্চিত করে বলেও। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র হয় না। আর পিনোশের আমলের চিলির উদাহরণ দিয়ে অমর্ত্য সেন বলেছেন, বিরোধী দল থাকলে তাদের মুখ বন্ধ করার জন্য হলেও এমনকি কর্তৃত্ববাদী সরকারকেও জনকল্যাণমূলক কাজ করতে হয়। তাঁর ভাষায়, ‘এসব দেশে সমাজসেবার যেসব কাজ কিছু সাফল্যের সঙ্গে চালু হয়েছিল, তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিরোধীদের আক্রমণ হ্রাস করা এবং এরূপে ক্ষমতায় আসার পূর্বেই বিরোধীরা কিছুমাত্রায় কার্যকর হয়েছিল।’গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়।নিশ্চয়ই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট বুশ একবার কম ভোট পেয়েও আদালতের রায়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন, এবারও পপুলার ভোট ট্রাম্পের চেয়ে বেশি পেয়েছেন হিলারি।আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক, এটা তো আরও এক বছরের পরের ব্যাপার। এই মুহূর্তে দরকার ভয়ের পরিবেশ দূর করা। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে যে একটা কর্মস্পৃহা, নিজেদের উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ঘটানোর কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে, তার একটা বড় কারণ গণতন্ত্র। বলার স্বাধীনতা, চলার স্বাধীনতা, নিরাপত্তার বোধ। এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত তা নিশ্চিত করা। গত নির্বাচনে বড় দল অংশ নেয়নি বলেই এই মেয়াদে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলোর চর্চা হওয়া উচিত আরও বেশি। পৃথিবীকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য ছবি হোম-এ বারবার বলা হয়, ইটস টু লেট টু বি আ পেসিমিস্ট। এত দেরি হয়ে গেছে যে আর হতাশ হওয়ার উপায় নেই।হতাশ না হয়ে আসুন ইতিবাচক কিছু করি।আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। | 345,779 |
সুনামগঞ্জ অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১ | সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | রাতে হঠাৎ হাসপাতাল পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/134899 | মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত মঙ্গলবার প্রথম সুনামগঞ্জ জেলা শহরে আসেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান৷ দিনভর নানা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাত সাড়ে নয়টায় হঠাৎ করেই সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তিনি৷ হাসপাতালের সেবার মান ও রোগীদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি৷প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দিনে যেসব কর্মসূচিতে মন্ত্রী অংশ নিয়েছেন, সবখানেই তাঁকে সদর আধুনিক হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়ন ও নানা সমস্যার কথা বলেছেন লোকজন৷ রাতে পৌরসভায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একইভাবে শহরের বিভিন্ন³শ্রেণী ও পেশার লোকজন মন্ত্রীকে হাসপাতালের সেবার মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান৷রাত সাড়ে নয়টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে বের হয়েই মন্ত্রী হাসপাতালে যান৷ সেখানে প্রথমেই জরুরি বিভাগে ঢুকে অপরিচ্ছন্ন³পরিবেশ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ এরপর তিনি দোতলার সব কটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন৷ রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন৷ সরকারিভাবে সরবরাহ করা খাবারের মান কেমন জানতে চান৷ মন্ত্রী দোতলা থেকে আবার জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখেন, অল্প সময়ের মধ্যে ওই কক্ষের সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে৷ এ সময় তিনি কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যখন প্রথমে এই কক্ষে ঢুকি, তখন অপরিচ্ছন্ন ছিল। দোতলা থেকে নামতে নামতে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে!’মন্ত্রী হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলেন, ‘আমি নিজে কোনো কাজে অবহেলা করতে চাই না৷ তাই কারও অবহেলা সহ্য করব না৷ আমি মন্ত্রী হিসেবে হুইসেল বাজিয়ে আসব না। আমাকে প্রধানমন্ত্রী কেরানির দায়িত্ব¾ দিয়েছেন৷ আশা করি, এখানে যাঁরা সেবা দিতে এসেছেন, তাঁরাও দায়িত্বে কোনো অবহেলা করবেন না৷’মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর হাসপাতালের ফটকের পাশের এক দোকানি বলেন, ‘এখানে ১৫ বছর ধরে আছি৷ এর আগে এভাবে কোনো মন্ত্রীকে হাসপাতালে আসতে দেখিনি৷ এতে কর্তৃপক্ষ সব সময় সতর্ক থাকবে৷’ হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সা কর্মকর্তা (আরএমও) এহসানুজ্জামান খান বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় হাসপাতাল সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন৷ আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার কথাগুলো বলেছি৷’ | 47,699 |
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪২ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪৩ | সরিষাবাড়ী,জামালপুর,ঢাকা বিভাগ,পৌরসভা নির্বাচন,বিশাল বাংলা | 0 | বিএনপির প্রার্থীর জনসংযোগে বাধা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/709870 | জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে গতকাল শুক্রবার সকালে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর জনসংযোগে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকেরা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার সাতপোয়া গ্রামে গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী এ কে এম ফয়জুল কবীর তালুকদার তাঁর সমর্থকদের নিয়ে জনসংযোগ করতে যান। এ সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রুকনুজ্জামানের সমর্থকেরা বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রুকনুজ্জামান বলেন, ‘আমার সমর্থকেরা কোনো জনসংযোগে বাধা দেননি। কাউকে মারধর করেননি।’ | 182,749 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ০৭:১২ | ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ০৯:০৮ | শিক্ষাঙ্গন,কুমিল্লা | 0 | ৫১ দিন ধরে উপাচার্য নেই, স্থবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1414366 | উপাচার্যের পদ শূন্য থাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। আটকে আছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা। এখনো প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়নি। বিভিন্ন অনুষদের ডিন নিয়োগও বন্ধ রয়েছে। ছুটি নিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। নতুন করে কোনো প্রকল্পও নেওয়া যাচ্ছে না। সিন্ডিকেটের বৈঠকও হচ্ছে না পাঁচ মাস। দেশের ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ তিনটি পদই খালি। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৫১ দিন ধরে উপাচার্যের পদটি শূন্য।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে পদটি শূন্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদও শূন্য, যে কারণে ভারপ্রাপ্ত কিংবা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনেরও কেউ নেই। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮০ জন শিক্ষক, ৬৬ জন কর্মকর্তা ও ১৮৮ জন কর্মচারীসহ মোট ৩৩৪ জন ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পাননি। নিয়মানুযায়ী, উপাচার্যের অনুমোদন নিয়ে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়।শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, উপাচার্য না থাকায় শিক্ষকদের ছুটি পেতে সমস্যা হচ্ছে। এর মধ্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামানকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য এবং মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসানকে সন্তানের চিকিত্সার জন্য ছুটি নিতে হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, কলা ও মানবিক অনুষদে কোনো ডিন নেই। নতুন করে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা এবং পরীক্ষার অনুমোদনও করা যাচ্ছে না। ফল প্রকাশেও সমস্যা হচ্ছে। তিন মাস পর সিন্ডিকেটের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও গত পাঁচ মাসে কোনো সভা হয়নি।এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ১ হাজার ৯৭ আসনের বিপরীতে ৫৪ হাজার ৮০৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তিনটি অনুষদে ১৯টি বিভাগে এবারও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে শিক্ষক সমিতি আন্দোলন করে। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের কারণে তত্কালীন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে পারেননি টানা ৪৭ দিন। তার ওপর শিক্ষকদের বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট থাকায় ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এতে অনিশ্চয়তায় পড়েন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। তখন কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, নতুন উপাচার্য এলে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এখন উপাচার্যের দিকে তাকিয়ে আছেন সবাই।এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. আবু তাহের বলেন, উপাচার্য না থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। পদটি পূরণ হলেই সংকট কেটে যাবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, গত ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতাদি পাননি কেউ। অনেকগুলো কমিটির অনুমোদন হয়নি। ভর্তি পরীক্ষাও আটকে আছে। সরকারের সব মহলই বিষয়টি জানে, কিন্তু উপাচার্য পদে নিয়োগ হচ্ছে না। | 352,373 |
শরিফুল হাসান | life-style | জীবনযাপন | ০৪ মার্চ ২০১৬, ০১:৩১ | ০৪ মার্চ ২০১৬, ০৮:৫১ | পেশা,চাকরিবাকরি | null | বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন যাঁদের | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/788263 | সরকারি চাকরিতে সম্মান তো আগেই ছিল। এ বছর থেকে শতভাগ বেতনও বেড়েছে। কাজেই বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন এখন দেখতেই পারেন। আপনার জন্যই হয়তো দুয়ারে কড়া নাড়ছে ৩৭তম বিসিএস। ১ হাজার ২২৬টি শূন্য পদের জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি এই বিসিএসের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ৩১ মার্চ থেকে আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হবে। কাজেই প্রস্তুতি নিন এখন থেকেই।পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ৩৭তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি শূন্য পদ থাকছে প্রশাসন ক্যাডারে। এই বিসিএসের মাধ্যমে ৩০০ জন সহকারী কমিশনার নেওয়া হবে। কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের সম্মান ডিগ্রি থাকলেই আবেদন করা যাবে।কোন পদে কতজন নিয়োগসাধারণ ক্যাডারে মোট ৪৬৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন ছাড়াও পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২০ জন, সমবায় ক্যাডারে ৯ জন, ডাকে ৯ জন, আনসার ক্যাডারে ৭ জন, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে ৭ জন, ইকোনমিক ক্যাডারে ৬ জন, তথ্য ক্যাডারে ৬ জন ও রেলওয়ে ক্যাডারে ১ জন নিয়োগ করা হবে।প্রফেশনাল ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের সহকারী সার্জন হিসেবে ২৭২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন হিসেবে ১৮ জন, মৎস্য ক্যাডারের উপসহকারী পরিচালক হিসেবে ৬৪ জন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে ১৯ জন, কৃষি ক্যাডারে ৫০ জন, বিসিএস পশুসম্পদ ক্যাডারে ৪২ জন, হাঁস-মুরগি উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে ৫ জন, গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ২৫ জন, সহকারী প্রকৌশলী (ইএম) হিসেবে ১১ জন, রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে ৭ জন, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী হিসেবে ১ জন, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল ক্যাডারে ১২ জন, সহকারী প্রকৌশলী বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে ৮ জন, খাদ্য ক্যাডারে ২ জন, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ১ জনসহ মোট ৫৩৭ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মধ্যে প্রভাষক হিসেবে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনায় ২২ জন, বাংলায় ২১ জন, অর্থনীতিতে ২০ জন, দর্শনে ১৯ জন, ইতিহাসে ১৯ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ১৮ জন, গণিতে ১৫ জন, ইংরেজিতে ১৪ জন, গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে ১৩ জন, উদ্ভিদবিদ্যায় ৭ জন, কম্পিউটার, ইসলামের ইতিহাস, মনোবিজ্ঞানে ৫ জন করে, ব্যাংকিংয়ে ৪ জন, পরিসংখ্যান, সংস্কৃত ও কৃষিবিজ্ঞানে ৩ জন করে, সমাজকল্যাণে ২ জন, প্রাণিবিদ্যায় ১ জনসহ মোট ২২৪ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে পদসংখ্যা যেকোনো ক্ষেত্রেই কম-বেশি হতে পারে।অনলাইনে আবেদনএবারও অনলাইনে আবেদন করা যাবে। ৩১ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ২ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। তবে শেষ দিকে বরাবরই চাপ পড়ে। অনেকে দেখা যায়, আবেদনও করতে পারেন না। কাজেই শুরুর দিকে আবেদন করে রাখলে ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। পিএসসির ওয়েবসাইট থেকে আবেদন পাওয়া যাবে। টাকা জমা দিতে হবে টেলিটকের মাধ্যমে। ছবি, স্বাক্ষর—এসব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।বয়সবরাবরই মতোই প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ হতে পারবে। সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ক্ষেত্রে শুধু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বেলায় বয়স ৩২ হওয়া যাবে। আপনার সনদে বাবা-মায়ের নাম যেভাবে আছে সেভাবেই সব লিখুন। কোনো কোটা থাকলে সেটি উল্লেখ করুন। কোনো ধরনের ভুল তথ্য লিখবেন না।প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন এখনইপ্রিলিমিনারি টেস্ট বা প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা হচ্ছে বিসিএসের প্রথম ধাপ। এটিকে বলা যায় লিখিত পরীক্ষার চাবি। মনে রাখবেন, পরীক্ষার আগে কয়েক দিন পড়ে বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া কঠিন। কাজেই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন। আগামী কয়েক মাসের সঠিক ব্যবহারের ওপরই নির্ভর করছে আপনার বিসিএসের ভবিষ্যৎ।নিশ্চয় জানেন, নতুন নিয়মে দুই ঘণ্টা সময়ে মোট ১০টি বিষয়ের ওপর ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫ করে ৭০ নম্বর, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়বলিতে ২০, ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ১০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞানে ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১৫, গাণিতিক যুক্তি ১৫, মানসিক দক্ষতা ১৫ এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয়ে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে পড়ে আসা পাঠ্যবইয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন। একইভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের বইগুলো থেকে গাণিতিক যুক্তি, সাধারণ বিজ্ঞান, ভূগোলসহ অন্যান্য বিষয়েও জানা যাবে। আর সাধারণ জ্ঞানে দক্ষতা বাড়াতে দৈনিক পত্রিকা পড়ার বিকল্প নেই। প্রতিদিন পত্রিকা পড়ার অভ্যাস আপনাকে বিসিএসে নানাভাবে সহায়তা করবে। | 207,601 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জুন ২০১৬, ০২:১৮ | ১৯ জুন ২০১৬, ০২:১৯ | ফেনী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ইউপি চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/892573 | ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী দিল আফরোজ মুন্নি।গতকাল শনিবার ফেনী শহরের একটি রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।গত ২ জুন রাতে আবুল কালাম আজাদ, চরদরবেশ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ও তাঁদের বহনকারী অটোরিকশার চালককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাবের ভাষ্যমতে, ফেনীর ট্রাংক রোড থেকে গ্রেপ্তারের সময় আবুল কালামের পকেটে অস্ত্র পাওয়া যায়। পরে তাঁর বাড়ি থেকেও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।দিল আফরোজ বলেন, তাঁর স্বামী বলেছেন, তাঁর পকেটে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে অস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব সদস্যরা বাইরে থেকে ব্যাগে করে অস্ত্র নিয়ে ওই রাতে তাঁদের গ্রামের বাড়ি গিয়ে সেখান থেকেও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করে। এ ঘটনায় তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।দিল আফরোজ বলেন, তাঁর স্বামী দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওরফে ভুট্টু ও তাঁর সমর্থকেরা তাঁর (দিল আফরোজ) স্বামীকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে নানাভাবে হুমকি দেয়। কিন্তু সরাতে না পেরে নির্বাচনের দুই দিন আগে তাঁর স্বামীকে ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেপ্তার ও মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে দিল আফরোজের মা দৌলত বিয়া, তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে মিনহাজ কালাম শিশির ও প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে সামিউল কালাম শ্রাবণ উপস্থিত ছিলেন।ইউপি নির্বাচনে আবুল কালামের প্রতিদ্বন্দ্বী নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়েত জামিল ফাহিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আবুল কালাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর কাছে ও তাঁর বাড়িতে অস্ত্র পাওয়া গেছে। | 233,598 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৭ মার্চ ২০১৮, ১২:১৫ | ২৭ মার্চ ২০১৮, ১২:৪০ | পাকিস্তান | null | পাকিস্তানের ট্রান্সজেন্ডার সংবাদপাঠক মারভিয়া | http://www.prothom-alo.com/international/article/1457891 | পাকিস্তানে কোহিনূর নামে বেসরকারি একটি সংবাদ চ্যানেলে প্রথমবারের মতো ট্রান্সজেন্ডার একজনকে সংবাদপাঠক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম মারভিয়া মালিক। তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতক। কাজ করতেন মডেল হিসেবে। বিবিসিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মারভিয়া বলেন, চাকরির প্রস্তাব পাওয়ার পর তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন।তিন মাস ধরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর গত শুক্রবার ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্প্রচারমাধ্যম কোহিনূরে প্রথম শো করেন মারভিয়া মালিক।পাকিস্তানে ট্রান্সজেন্ডাররা বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হন। চাকরি পেতে তাঁদের প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করতে হয়। চাকরি না পেয়ে অনেক ট্রান্সজেন্ডার বাধ্য হন ভিক্ষা করতে। অনেকে আবার যৌনকর্মীর কাজ করেন।চাকরি পেয়ে কেবল নিজের জন্যই খুশি নন মারভিয়া। তাঁর আশা, এতে পাকিস্তানের ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।মারভিয়া মালিক বলেন, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের প্রতি কোনো বৈষম্য থাকা ঠিক না। অন্য নাগরিকদের মতোই আমাদের সমঅধিকার দিতে হবে। তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার জানে, আমি মডেলিং করি। তারা এটাও জানে, এখন আমি সংবাদপাঠক হিসেবে কাজ করছি। এরপরও তারা আমার পরিচয় দিতে চায় না।’কোহিনূর সংবাদ চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী জুলাই আনসারি ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, মারভিয়া মালিককে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।এই মাসের শুরুতে পাকিস্তানের সিনেট ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার রক্ষাবিষয়ক একটি বিলে সমর্থন দেয়।গত বছরের জুন মাসে চিকিৎসায় দেরির কারণে ২৩ বছরের একজন ট্রান্সজেন্ডার মারা যান। আলিসা নামের ওই ট্রান্সজেন্ডার গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁকে আটবার গুলি করা হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে নারী না পুরুষ ওয়ার্ডে নেবেন, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। আলিসার বন্ধুদের অভিযোগ, এ কারণেই তাঁর চিকিৎসায় দেরি হয়। | 359,169 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:২৭ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:১৯ | ক্রিকেট,ইংল্যান্ড,টেস্ট ক্রিকেট,ভারত | null | সৌরভ–শেবাগে তুলোধুনো শাস্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1556298 | ইংল্যান্ডের মাটিতে এক টেস্ট বাকি থাকতেই ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বিরাট কোহলির ভারত। এতে শেবাগ-গাঙ্গুলীর মতো সাবেকদের তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী।আস্তিন থেকে অদৃশ্য ছুরিটা বেরিয়ে এসেছে। সিরিজ হারের ব্যথা উপশমে তার ব্যবহার চলছে। রবি শাস্ত্রী কি কিছু টের পাচ্ছেন? কথার পোঁচে তাঁকে কেমন ফালা ফালা করে ফেলা হচ্ছে!ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ শেষ হতে এখনো এক ম্যাচ বাকি। এরই মধ্যে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ খুঁইয়েছে বিরাট কোহলির ভারত। এরপর থেকেই সোচ্চার ভারতের সাবেকেরা। সুনীল গাভাস্কার থেকে সৌরভ গাঙ্গুলী, বীরেন্দর শেবাগরা সমালোচনায় মুখর। বিশেষ করে ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীকে তুলোধুনো করেছেন শেবাগ ও গাঙ্গুলী।সেই সঙ্গে তেড়েফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে মাটিচাপা থাকা দাবিটাও। শাস্ত্রীকে অপসারণ করে কোহলিদের কোচ পদে ফেরানো হোক অনিল কুম্বলেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দাবিতে সোচ্চার ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা। এদিকে সাবেকদের চোখেও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই শাস্ত্রী। হেড কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার মাসখানেক আগে বলেছিলেন, ‘অন্যতম সেরা সফরকারি দলে পরিণত হওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’ কিন্তু শাস্ত্রীর এই কথা বুলি হিসেবেই থেকে গেছে। প্রতিপক্ষের মাঠে ফলেনি। অবশ্য শুধু শাস্ত্রীয় নয়, টেস্টে কোহলির নেতৃত্বগুণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার।প্রতিপক্ষের মাটিতে শেষ আট টেস্টের মধ্যে এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচ হারল কোহলির দল। শেবাগ তাই যেন কথার সোজা ব্যাটে খেলে শাস্ত্রীকে আছড়ে ফেললেন সীমানার বাইরে। ইন্ডিয়া টিভিকে ভারতের সাবেক এই ওপেনার বলেন, ‘সেরা সফরকারি দল নির্ধারিত হয় মাঠের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। ড্রেসিংরুমে বসে বুলি আওড়ানোর মাধ্যমে নয়। আপনি যত খুশি কথা বলতে পারেন কিন্তু ব্যাট আর বল কথা বলে না উঠলে সেরা সফরকারি দল হতে পারবেন না।’১৩ মাস আগে ভারতের হেড কোচ বেছে নেওয়ার জন্য বিসিসিআই গঠিত উপদেষ্টা কমিটির পছন্দের ব্যক্তিটি ছিলেন কুম্বলে। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তখন জানিয়েছিল, কোহলিদের দাবির প্রেক্ষিতে শাস্ত্রীর কাঁধে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন সেই উপদেষ্টা কমিটির প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী। কোচ হওয়ার সেই দৌড়ে শেবাগও ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী।একই সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ। ভারতের সাবেক এই অধিনায়কও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন শাস্ত্রীকে। তাঁকে এবং ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারকে উদ্দেশ করে গাঙ্গুলী বলেন, ‘এই ফলের দায় নিতে হবে শাস্ত্রী ও বাঙ্গারকে। কেন শুধু একজন ব্যাটসম্যান পারফর্ম করছে? বাকিরা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলে তিনটি দেশের (ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা) মাটিতে সিরিজ জেতা হবে না।’দলের সঙ্গে তো বটেই ব্যক্তিগত জীবনেও ঝামেলায় পড়েছেন শাস্ত্রীর। প্রেমের গুঞ্জন চলছে তাঁকে ঘিরে। বলিউড অভিনেত্রী নিমরাত কৌরের সঙ্গে নাকি মন দেওয়া-নেওয়া চলছে শাস্ত্রীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো রসিকতা চলছে, নিমরাতকে মন দিতে গিয়ে শাস্ত্রী জাতীয় দলের প্রতি মনোযোগ হারিয়েছেন! | 375,765 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:০১ | ১২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:০২ | -1 | 0 | বাংলাদেশ শীর্ষ আশাবাদী দেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/737500 | ২০১৫ সালে সার্বিকভাবে শীর্ষ আশাবাদী দেশ ছিল বাংলাদেশ। আর অর্থনৈতিকভাবে আশাবাদী দেশের তালিকায় আমাদের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তবে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষ ১০টির মধ্যে ঠাঁই মেলেনি বাংলাদেশের। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ কলম্বিয়া।বিভিন্ন দেশের নিরপেক্ষ বাজার গবেষণা ও জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠানের কনসোর্টিয়াম উইন/গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনালের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ৬৮টি দেশে এই জরিপ চালানো হয়। গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।আশাবাদী বা সুখী দেশের এ তালিকার বাইরে হতাশাবাদী বা অসুখী দেশের তালিকাও প্রকাশ করেছে গ্যালাপ। তালিকা অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী বছরটিতে সার্বিকভাবে শীর্ষ হতাশাবাদী দেশ ছিল ইতালি। অর্থনৈতিক হতাশার শীর্ষে ছিল গ্রিস। এ ছাড়া, সবচেয়ে অসুখী দেশ যুদ্ধ-হানাহানিকবলিত ইরাক।জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, সার্বিকভাবে আশাবাদ সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৭৪ শতাংশ। এ সূচকে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে নবম (৪৭ শতাংশ) ও দশম (৪২ শতাংশ)। সূচকের শীর্ষ ১০ দেশের অন্যগুলো (দ্বিতীয় স্থান থেকে নিম্ন ক্রমানুযায়ী) চীন, নাইজেরিয়া, ফিজি, মরক্কো, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম ও আর্জেন্টিনা।অর্থনৈতিক আশাবাদ সূচকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের স্কোর ৬০ শতাংশ। মাত্র ১ শতাংশ স্কোরে এগিয়ে থেকে নাইজেরিয়া এ সূচকের শীর্ষস্থান দখলকারী দেশ। এ সূচকে শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে পাকিস্তান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ। শীর্ষ দশের অন্য দেশগুলোর মধ্যে চীন (তৃতীয়), ভিয়েতনাম (চতুর্থ), মরক্কো (সপ্তম), ফিজি (অষ্টম), সৌদি আরব (নবম) ও আর্জেন্টিনা (দশম)।শীর্ষ সুখী ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মতোই স্থান মেলেনি ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের। কলম্বিয়া, ফিজি ও সৌদি আরবের পর এ তালিকার অপর দেশগুলো যথাক্রমে আজারবাইজান, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, পানামা, মেক্সিকো, ইকুয়েডর এবং যৌথভাবে চীন ও আইসল্যান্ড।তালিকার শীর্ষ ১০ অসুখী দেশ হলো ইরাক, তিউনিসিয়া, গ্রিস, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, ঘানা, হংকং, বুলগেরিয়া, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং যৌথভাবে ফ্রান্স ও ইতালি।জরিপে বলা হয়, বিশ্বের সমৃদ্ধিশালী ও ধনী রাষ্ট্র বলে বিবেচিত, বিশেষত ইউরোপের আইসল্যান্ড ছাড়া অন্য কোনো দেশই শীর্ষ ১০টি সুখী রাষ্ট্রের মধ্যে ঠাঁই পায়নি। ৬৮টি দেশের ৬৬ হাজার ৪০ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে জরিপ প্রতিবেদনটি।২০১৫ সালের শেষ নাগাদ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৬ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা নিজেদের সুখী বলে মনে করেন। এর আগের বছর ২০১৪ সালের চেয়ে এটা ৪ শতাংশ কম। ১০ শতাংশ লোক বলেছেন, তাঁরা অসুখী। আগের বছরের চেয়ে এটা ৪ শতাংশ বেশি।এ ছাড়া, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৫ শতাংশ বলেন, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে চলতি ২০১৬ সাল নিয়ে আশাবাদী তাঁরা। এ সংখ্যা এই বিষয়ে হতাশাবাদীদের প্রায় দ্বিগুণ। | 191,720 |
ফরিদপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৪৫ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৪৭ | ফরিদপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | দেড় বিঘা জমির পেঁয়াজগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/129538 | ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় দুই কৃষকের খেতের পেঁয়াজগাছ মঙ্গলবার রাতে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা দাবি করেছেন।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. শাহজাহান মোল্লা এবং বগা ঠাকুর বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁদের দেড় বিঘা জমির পেঁয়াজগাছগুলো কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকালে খেতে গিয়ে তাঁরা গাছগুলো কাটা অবস্থায় দেখতে পান। এতে তাঁদের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহীনূর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। | 45,761 |
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫১ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫৩ | অপরাধ,সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ | null | মেয়র হালিমুল গ্রেপ্তার, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আ.লীগের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1075381 | সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পৌর মেয়র হালিমুল হককে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর একটি সড়ক থেকে হালিমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।এদিকে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পৌর মেয়র হালিমুলকে গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম গতকাল রাতে জানান, বিকেলে পৌর মেয়র হালিমুলের বাসা থেকে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।সকালে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ হাসিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সভায় উপজেলা কমিটির সদস্যপদ থেকে পৌর মেয়র হালিমুল ও তাঁর সহযোগী কে এম নাসির উদ্দীনকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হবে।গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পৌর মেয়রকে গ্রেপ্তার এবং জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকেরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য দেন শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুণ্ড, সাধারণ সম্পাদক শফিকুজ্জামান প্রমুখ। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনও পৃথকভাবে একই কর্মসূচি পালন করেছে।এসব কর্মসূচিতে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত জানাজার আগের বক্তৃতায় বলেছেন, মেয়র তাঁর কথা অমান্য করে গুলি ছুড়েছেন। তাঁর ছোড়া গুলিতেই সাংবাদিক হাকিম নিহত হয়েছেন। তাহলে গুলি করা হলেও তাঁকে তাৎক্ষণিক কেন গ্রেপ্তার করা হলো না? পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে পৌর মেয়র পালিয়ে গেলেন?পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, হালিমুলের অস্ত্রের লাইসেন্স ও গুলির বিষয়গুলোয় তদন্ত চলছে। মেয়রের বাড়ি থেকে ৪৩টি গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পৌর মেয়র কীভাবে গুলি ছুড়েছেন, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন সমকাল-এর শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম। পরদিন শুক্রবার ঢাকায় আনার পথে তিনি মারা যান।হাকিমের মৃত্যুর পর শাহজাদপুর থানায় শুক্রবার তাঁর স্ত্রী নূরননাহার মামলা করেন।শাহজাদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক হাসিবুল হক গতকাল দুপুরে সাংবাদিক হাকিম হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল চন্দ্র দেব বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন কে এম নাসিরুদ্দিন, আলমগীর হোসেন, আরশাদ আলী, নাজমুল হক ও জহির উদ্দিন শেখকে গতকাল দুপুরে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এর আগে গত শনিবার মামলার অপর আসামি মেয়র হালিমুলের ছোট ভাই হাসিবুল হক ও হাবিবুল হককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।হাকিমের স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাসসাংবাদিক হাকিমের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে শনিবার রাতে উপজেলার মাদলা গ্রামে তাঁর বাড়িতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় তিনি হাকিমের স্ত্রীর হাতে নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন। সেই সঙ্গে এসেনশিয়াল ড্রাগ ওষুধ কোম্পানিতে তাঁকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। | 290,759 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ৩১ মার্চ ২০১৭, ১১:৪৬ | ৩১ মার্চ ২০১৭, ১১:৪৭ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | আবার পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সেই ‘বিস্ময় বালক’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1129101 | শেষ বলে কঠিন এক সমীকরণ ছিল জেসন হোল্ডারের সামনে। ৫ রান দরকার হলেও ম্যাচ জেতাতে ওই বলে ছক্কা মারতেই হতো তাঁকে। কিন্তু হাসান আলীর ইয়র্কারটা পয়েন্টে ঠেলে কেবল এক রানই নিতে পারলেন হোল্ডার। ব্যস, আনন্দে ফেটে পড়ল পাকিস্তান দল। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবিশ্বাস্যভাবে জিতে নিল সফরকারীরা। ৩ রানের এই নাটকীয় জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।নাটকই তো হলো কাল কুইন্স পার্ক ওভালে! হাসান আলীর করা শেষ ওভারটার কথাই ধরুন। ৬ বলে ১৪ রান দরকার ক্যারিবীয়দের। যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে দুই দল মিলিয়ে আগের ৩৯ ওভারে করেছে ২৫১ রান, সে তুলনায় কাজটা বেশ কঠিনই। তার ওপর স্ট্রাইকে সুনীল নারাইন! কিসের কী? প্রথম দুই বলেই চার! ৪ বলে প্রয়োজন ৬ রান। পরের বলটাই ডট, ৩ বলে ৬। ব্যাপারটা আরেকটু জমিয়ে তুলতেই একটা ওয়াইড হলো। পরের বলেই আরেকটি ডট বল, ২ বলে ৫। পরের বলটা কোনোমতে খেলেই দৌড় দিলেন নারাইন, কিন্তু অন্যপ্রান্তে পৌঁছানোর আগেই আউট, কোনো রান এল না। আর শেষ বলটায় কীভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে অধিনায়ক ব্যর্থ হয়েছেন সেটা তো জেনেই গেছেন।শেষের নাটকীয়তায় হাসান আলীর নামটাই আগে এল, তবে কালকের আসল নায়ক আবারও সেই শাদাব খান। আগের ম্যাচেই অভিষেকে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন। কাল সে তুলনায় একটু ‘খরচে’, দিয়েছেন ১৪ রান! তবে উইকেটও একটা বেড়েছে। তাঁর ১৪ রানের ৪ উইকেটের স্পেলেই নিশ্চিত জয় দেখতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ থমকে দাঁড়ায়। ১৩২ তাড়া করতে নামা দলটি ৮ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করে ফেলেছিল। শাদাবের লেগ স্পিন, গুগলি ও সোজা বলের বিভ্রান্তি কাটাতে কাটাতেই ক্যারিবীয়রা দেখল স্কোরটা ৮১/৬ হয়ে গেছে! শুধু বল হাতেই নয়, ফিল্ডিংয়েও শাদাব ছিলেন অনন্য। ১৮ বছর বয়সী শাদাব এতটাই ভালো ফিল্ডিং করেছেন যে এরই মধ্যে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন, তিনিই পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ফিল্ডার কিনা!শাদাবের সেই জাদুকরি স্পেলের পরও কাজটা কঠিন ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৭ ওভারে ৫২ রান, উইকেটে অধিনায়ক কার্লোস ব্রাফেট ও হোল্ডার, জয়ের আশা ছিলই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমীকরণের দুই পাশ মেলাতে পারেনি স্বাগতিক দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে শাদাবের সেরা খেলোয়াড় হওয়াটা আটকাতে পারল না কেউ। | 308,297 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২১ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৪ | ২১ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৬ | অল্পস্বল্প,খেলা,সাক্ষাৎকার | 0 | ‘এভাবে বরখাস্ত হব ভাবিনি’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/197710 | গতবার পেয়েছেন ফুলের মালা। এবার কাঁটার আঘাত। পরশু হঠাৎ করেই বরখাস্ত হলেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ মারুফুল হক। কোচের চাকরির নিশ্চয়তা নেই, এটা জানা থাকার পরও অবাকই হয়েছেন শেখ রাসেলকে গতবার ট্রেবল জেতানো কোচলিগের মাঝপথও পেরোয়নি এখনো। হঠাৎ এমন কিছু হবে ভাবতে পেরেছিলেন?মারুফুল হক: না, এভাবে হঠাৎ বরখাস্ত হব ভাবিনি। আমার গতকালের (পরশু) ট্রেনিং পরিকল্পনাও প্রস্তুত ছিল। আগের দিন সন্ধ্যায় টিম ম্যানেজার ফোন করে বললেন, কাল ১২টায় আসেন। আমি যাওয়ার পর ওনারা বললেন, ওনাদের ডোনাররা টিমের রেজাল্ট নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তাঁরা টাকা দিতে চান না। আর কোনো উপায় নেই, নতুন কোচও নিয়ে আসা হয়েছে। আমি যেন আর দলকে কোচিং না করাই।এটা শোনার পর আপনার প্রতিক্রিয়া কী ছিল?মারুফুল: আমি সহজে বিচলিত বা অল্পতেই উৎফুল্ল হই না। তবে এবার মর্মাহত হয়েছি, যেটির বড় কারণ আগামী ৭, ৯ ও ১১ মে কলম্বোতে এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপে শেখ রাসেলের খেলা আছে। ওটার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তার কয়েক দিন আগে এভাবে বরখাস্ত হওয়া আমার কাছে অপ্রত্যাশিতই।ফুটবল কোচদের তো এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতেই হয়, তাই না?মারুফুল: এটা ঠিক। তবে সময়টা দেখুন, প্রেসিডেন্টস কাপের প্রতিপক্ষ তিনটি দলের ভিডিও সংগ্রহ করেছিলাম। আমার মূল নজর ছিল প্রেসিডেন্টস কাপের ওপর। এমন অবস্থায় বিদায় মেনে নেওয়া কঠিনই। প্রাসঙ্গিকভাবে বলি, মাঠে খেলোয়াড় টাইব্রেকারে শট মিস করল কেন, সে জন্যও আমাকে শোকজ করা হয়েছে! ওই মিসের জন্য কি আমি দায়ী, বলুন? তবু বলেছি, আমি দায়ী।ক্লাব সভাপতি বলেছেন, মাঠে সাফল্য না পাওয়ায় তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?মারুফুল: ক্লাবের দৃষ্টিতে হয়তো ঠিকই করেছে। তবে আমার মতে, কাজটা ঠিক হয়নি। এএফসির বড় টুর্নামেন্টের ১০-১২ দিন আগে যত ভালো কোচই আনা হোক, ভালো করার সময় নেই তাঁর হাতে। তবে ক্লাবের নতুন কোচ নেওয়ার স্বাধীনতা আছে, আমি তাই ক্লাবের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।গতবার ট্রেবল জিতেছেন এই শেখ রাসেলের হয়েই। এবার সমস্যাটা কোথায় হলো?মারুফুল: এবারের বিদেশি খেলোয়াড়েরা শেখ রাসেলের সঙ্গে মানায় না। ম্যাচ উইনার-প্লেমেকার নেই। সেন্ট্রাল ডিফেন্সের দুই খেলোয়াড়কে পর পর দুই ম্যাচে পাইনি। লেফট ব্যাক, রাইট ব্যাক, সেন্ট্রাল মিডফিল্ড পজিশনে কোনো বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড় ছিল না।তাহলে কি ভালো খেলোয়াড় পেলেই কেবল কোচ মারুফুল হক সাফল্য পান?মারুফুল: এই যৌক্তিক প্রশ্নটা আসতেই পারে। কিন্তু মাঠে ফল না পেলেও পারফরম্যান্স কিন্তু ভালো ছিল। আমি খুশি। বড় ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো খেলেছি। সময় পেলে এই দলটিই দাঁড়িয়ে যেত।গতবার সনি নর্দের মতো খেলোয়াড় ছিল। এবার কি নর্দের অভাব অনুভব করেছেন?মারুফুল: শুধু সনি না, গতবারের দলের নয়জন নেই এবার। সনি ছাড়া বাকিরা থাকলে হয়তো সনির অভাব অনুভব করতাম। কিন্তু তা করিনি। যা আছে, তা নিয়েই চলতে হয়েছে। | 67,357 |
পাবনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০৭ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০৮ | পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,রাজনীতি | 0 | টুকুর প্রচারণার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/114520 | পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর প্রচারণার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। নির্বাচনী এলাকার তিন থানার তিন ওসি প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইয়িদের কর্মী-সমর্থকদের হয়রানি করছেন।গতকাল দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ এসব অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে তিনি তিন থানার ওসিকে প্রত্যাহার ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে শামসুল হককে অপসারণ করাসহ চার দফা দাবি জানান।আবু সাইয়িদ বলেন, পাবনা-১ নির্বাচনী এলাকার আতাইকুলা, বেড়া ও সাঁথিয়া থানার ওসি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিযুক্ত ও অনুগত। ফলে তাঁরা সরাসরি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ নিয়েছেন।পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, পুলিশ কারও পক্ষ নেয়নি। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কাজ করছে। | 40,776 |
মেহারি তাদ্দেলে মারু | opinion | মতামত | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৫ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৮ | আন্তর্জাতিক | null | চীন কেন আফ্রিকার পছন্দের অংশীদার | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1573583 | ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের (ফোকাক) এক বৈঠকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে আফ্রিকায় চীনের সহায়তা এবং বিনিয়োগ কৌশলের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কাগামে বলেন, চীন ও আফ্রিকার মধ্যে সহযোগিতা পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং উভয় অংশীদারের উপকারের জন্য এই সহযোগিতার সম্পর্ক। পল কাগামের মতো আফ্রিকার বেশির ভাগ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান সম্ভবত এ রকমই মনে করেন।যদিও আফ্রিকান নেতৃত্ব চীনকে একটি মূল্যবান অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করেছে, তারপরও অনেকে বেইজিংকে আফ্রিকার আগ্রাসনকারী হিসেবে দেখছে। তাঁদের মতে, চীন আফ্রিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা করছে। আসলে বর্তমানে চীন-আফ্রিকার সম্পর্ক দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত ধারণার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে চীনবিরোধী মনোভাব, মূলত পশ্চিমা দেশগুলো এই মনোভাব পোষণ করে। উদাহরণস্বরূপ সম্প্রতি ওয়াশিংটনে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে পররাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন আফ্রিকায় চীনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন যে মহাদেশটি বেইজিংয়ের নতুন ঔপনিবেশিকতার শিকার হয়ে পড়ছে এবং এ জন্য আফ্রিকাকে ঋণের জালে বন্দী করার জন্য চীন নানা কৌশল গ্রহণ করছে। আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে চীন ছোট-বড় মিলিয়ে হাজার হাজার প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে, যেগুলো আফ্রিকার অর্থনীতির চেহারাই বদলে দিচ্ছে। আফ্রিকার প্রতি দয়াপরবশ হয়ে চীন এত বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে না। এর পেছনে তাদের বড় ধরনের স্বার্থ রয়েছে।বোল্টন বলেন, চীনের এ ধরনের তৎপরতার উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ প্রকল্পসহ কৌশলগত উদ্যোগগুলোর সম্প্রসারণ ঘটানো। মোটকথা বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তারই হচ্ছে চীনের আসল লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্য পশ্চিমা সরকারগুলোও যেমন যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স আফ্রিকায় চীনের বিনিয়োগ ও ঋণসহায়তাকে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, দক্ষিণ সুদান ও সুদানের মতো তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর শান্তি নষ্ট করছে চীন। আর স্বৈরতন্ত্র আছে আফ্রিকার এমন দেশগুলোকে তারা সমর্থন করছে, যেমন গ্যাবন। এ ছাড়া পশ্চিমারা চীনকে একটি বাণিজ্যিক সুযোগভোগী এবং আফ্রিকান পরিবেশের বিশাল দূষণকারী হিসেবে মনে করে। চীন-আফ্রিকার সম্পর্ক নিয়ে দ্বিতীয় ধারণাটি হলো চীন হচ্ছে আফ্রিকার শুভাকাঙ্ক্ষী। চীন আফ্রিকায় যা করছে, তা আফ্রিকার মঙ্গলের জন্য। আফ্রিকার বেশির ভাগ নেতৃত্ব তাই মনে করে। তারা মনে করে চীন হচ্ছে তাদের রক্ষাকর্তা এবং বিশ্বাসযোগ্য মিত্র। তাদের দৃষ্টিতে চীন হচ্ছে তাদের অংশীদার, যারা কোনো স্বার্থ ছাড়াই তাদের সহায়তা দিচ্ছে। এ ছাড়া অন্য সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রকে সম্মান করার জন্য আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে চীন বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। আফ্রিকার অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এ রকম মনে করেন। তাঁরা মনে করেন না যে চীন আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের কোনো চেষ্টা করছে।কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ আছে, যেগুলো চীনকে আফ্রিকার পছন্দের অংশীদারে পরিণত করেছে। আফ্রিকানদের কাছে চীনের চারটি বড় ধরনের আকর্ষণ আছে: এগুলো হচ্ছে শর্তহীন ঋণ প্রদান, দ্রুত সেবা ও সস্তায় পণ্য প্রদান, শান্তিরক্ষায় ভূমিকা পালন এবং বিকল্প উন্নয়ন মডেল। প্রথমে চীনের শর্তহীন ঋণ প্রদান আফ্রিকার সরকারগুলোকে বড় প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে সাহায্য করছে, অর্থের অভাবে যেগুলো এত দিন তারা করতে পারেনি। চীনের ঋণের কারণে আফ্রিকার অনেক সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাপ এড়াতে সক্ষম হয়েছে।দ্বিতীয়ত, দ্রুততর পরিষেবা ও অবকাঠামোর জন্য জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য আফ্রিকান সরকারগুলোকে সহায়তা করেছে চীন। আফ্রিকার অনেক মানুষ এখন চীনা কোম্পানির পরিবহন ব্যবহার করছে, স্বাস্থ্য ও টেলিযোগাযোগ খাতে চীনের সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।তৃতীয়ত, চীন এখন আফ্রিকায় শান্তি ও নিরাপত্তার প্রকল্পগুলোতে নিযুক্ত। আটটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে চীনের সেনারা অংশগ্রহণ করছে, যার পাঁচটি হচ্ছে আফ্রিকায়। তা ছাড়া চীন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ এবং তারা সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশনে অর্থায়ন করছে।চতুর্থত, চীনের দ্রুত ও সফল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইতিহাসটি এমন একটি মডেল, যা আফ্রিকার অনেক দেশ তা অনুসরণ করতে পারে। নীতির সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে চীনের ক্ষমতা সম্পর্কে সবাই অবহিত এবং তা আফ্রিকান নেতাদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বিশ্বব্যাংকের মতে, প্রায় ৪০ বছর ধরে চীন উন্নয়নের অপ্রচলিত পথের মাধ্যমে তার ৮০০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে সমর্থ হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এটি সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অনেকগুলো অর্জন করেছে। মোটকথা যে যা-ই বলুক না কেন, চীন আফ্রিকার দেশগুলোর হৃদয় জিতে নিয়েছে।আল-জাজিরা থেকে নেওয়া, অনুবাদ: রোকেয়া রহমানড. মেহারি তাদ্দেলে মারু আফ্রিকান ইউনিয়নের হাই অ্যাডভাইজরি গ্রুপের প্রধান সদস্য | 386,200 |
বরুন রায়, বেড়া (পাবনা) | economy | অর্থনীতি | ২১ আগস্ট ২০১৩, ০০:৫০ | ২১ আগস্ট ২০১৩, ০০:৫৫ | বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ | null | এক দিনেই কমেছে মণে ৭০০ টাকা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/40777 | আমদানির খবরে দেশের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা পাবনার সাঁথিয়া ও সুজানগরে পেঁয়াজের দাম এক দিনের ব্যবধানে মণে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কমেছে। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের অন্যতম কাঁচামালের আড়ত সাঁথিয়ার করমজা হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ আগের দিন এই আড়তসহ দুই উপজেলার বিভিন্ন আড়তে প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকায়।স্থানীয় কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সুজানগর দেশের সর্বোচ্চ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উপজেলা। এবারের মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। সুজানগরের পরেই সাঁথিয়া উপজেলার অবস্থান। সাঁথিয়ায় পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল ১১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। অনুকূল পরিবেশ থাকায় দুই উপজেলায় এবার প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ মণ পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে। কৃষি কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দুই উপজেলায় এবারের মৌসুমে প্রায় ৭৭ লাখ মণ (২৮ হাজার টন) পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা জানান, নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর প্রান্তিক চাষিরা তাঁদের সব পেঁয়াজ বিক্রি করে দিলেও সচ্ছল অনেক কৃষক বেশি দামের আশায় ঘরে পেঁয়াজ রেখে দিয়েছেন। এ ছাড়া এ এলাকার অনেক ব্যবসায়ীও পেঁয়াজ কিনে মজুত করেছেন। পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় মজুতদারেরা আরও লাভের আশায় পেঁয়াজ আটকে রাখেন। কিন্তু সরকারের ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবর সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হওয়ায় টনক নড়ে তাঁদের। বাইরে থেকে পেঁয়াজ এলে দাম কমে যেতে পারে—এমন আশঙ্কায় গতকাল তাঁদের অনেকেই হাটে পেঁয়াজ তোলেন। ফলে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি মণে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কমে যায়।করমজা হাটের পেঁয়াজের আড়ত মাসুদ ট্রেডার্সের মালিক মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে পেঁয়াজের দাম মণে ৭০০ টাকা কমার এমন রেকর্ড আগে দেখি নাই। আসলে গতকাল টিভিতে পেঁয়াজ আমদানির খবর শুনে আজ যে যেভাবে পারে হাটে পেঁয়াজ এনে তুলেছে। আর এতেই দাম কমে গেছে বলে আমাদের ধারণা।’ | 10,839 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:২৯ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৩০ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,খবর | 0 | আজ দায়িত্ব নেবেন আইভী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1055699 | নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আজ সোমবার নগর ভবনের দায়িত্ব নেবেন। তাঁর সঙ্গে ২৭ জন কাউন্সিলর এবং ৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরও দায়িত্ব নেবেন। এর আগে মেয়র আইভী এবং ৩৬ কাউন্সিলর ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শপথ নেন।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে মেয়র আইভী ও কাউন্সিলররা নগর ভবনে এলে নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন। এরপর আইভী আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠনের পর ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। মেয়াদ শেষে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে গত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইভী। | 281,652 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২০:৩৮ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২০:৩৯ | শেয়ারবাজার | 0 | ১২ কোম্পানির দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/50691 | পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই ও সিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বৃহস্পতিবার কমিশনের ৪৯৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।কোম্পানিগুলো হলো লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, দেশ গার্মেন্টস, বিডি অটোকার, রহিমা ফুড, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, মুন্নু স্টাফলার, মডার্ন ডাইং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস, হাক্কানি পাল্প, ইনটেক অনলাইন ও আলহাজ টেক্সটাইল।বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ দিনে যেসব স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, সেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। | 19,455 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মার্চ ২০১৫, ০১:৫৪ | ০৮ মার্চ ২০১৫, ০১:৫৬ | সরকার | null | বোমা মেরে মানুষ হত্যা বরদাশত করব না | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/471148 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা আর বোমা মেরে মানুষ হত্যা বরদাশত করা হবে না। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ওনার বিরুদ্ধে শুধু দুর্নীতির মামলা নয়, খুনের মামলাও দেওয়া হয়েছে। তিনি হুকুমের আসামি। কাজেই মানুষের রক্ত নিয়ে খেললে শাস্তি বাংলার মাটিতে হবেই হবে। একজন খুনির যে শাস্তি, তা তাঁকে পেতেই হবে।গতকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল সমাবেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গিদের নেত্রী। জঙ্গিনেত্রীর স্থান বাংলাদেশে হবে না।খালেদা জিয়ার কোনো আশা পূরণ হবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনার অনেক আশা ছিল। আপনি বোমা মারবেন, মানুষ খুন করবেন। কখনো কেউ এসে আপনাকে ক্ষমতায় বসাবে। কেউ আসে নাই। এত দিন আশা ছিল, বিদেশ থেকে কেউ এসে একেবারে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। তারাও স্পষ্ট বলে দিয়েছে, জঙ্গিবাদ এখানে গ্রহণযোগ্য না। মানুষ হত্যা বন্ধ করতে বলেছে। কাজেই এখন আছে কে তাঁর? কয়েকটা সন্ত্রাসী? সন্ত্রাসীদের নিয়ে তিনি ক্ষমতায় যাবেন? আন্দোলন সফল করবেন? বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।’খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৬৭ দিন মামলার তারিখ পড়েছে। মাত্র সাত দিন হাজির হয়েছেন। শেষবার লাঠিসোঁটা, অস্ত্রশস্ত্র ও গাড়িবহর নিয়ে গেছেন। উদ্দেশ্য ছিল আদালতকে ভয় দেখিয়ে মামলা থেকে পার পেয়ে যাবেন। অথচ এই মামলা বর্তমান সরকারের নয়। খালেদা জিয়ারই প্রিয় ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের আমলের।খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি আন্দোলনের নামে নিজেই নিজেকে অন্তরীণ করে রেখেছেন। তিনি নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দেন। পুলিশ দিলে বলেন অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। আর পুলিশ সরিয়ে ফেললে বলেন পুলিশ সরিয়ে নিল কেন?খালেদা জিয়ার নির্দেশে পেট্রলবোমা মারা হয়—এমন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি অফিসে বসে থেকে পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ মারেন। প্রত্যেক জেলায় জেলায় ওনার দলের নেতা-কর্মীদের ফোনে নির্দেশ দেন। আর আমাদের দেশে একশ্রেণির লোক আছে, শিক্ষিত মানুষ। ইউনিভার্সিটির টিচারও আছেন। বিএনপি যতই অপরাধ করুক, খালেদা জিয়া যতই অপরাধ করুক, মানুষ হত্যা করুক, গুলি করুক, ওনারা নাকি চোখেই দেখেন না।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোমা হামলার সঙ্গে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও শিবির জড়িত। এদের মানুষ চেনে। কিন্তু কিছু লোক না চেনার ভান করে। এরা নানাভাবে বোমাবাজদের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করে। যারা বোমাবাজদের ঢাকার চেষ্টা করবে, নিরাপত্তা দেবে, তারাও সমান দোষে দোষী। তারাও অপরাধ থেকে পার পাবে না।প্রধানমন্ত্রীর প্রায় ৩৫ মিনিটের বক্তব্যের বড় অংশজুড়েই ছিল বিএনপি, খালেদা জিয়া ও চলমান হরতাল-অবরোধ প্রসঙ্গ। সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকেই রাজধানী ও এর আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। অনেককে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীদের ছবিসংবলিত ফেস্টুন বহন করতে দেখা যায়। সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও মিছিল নিয়ে আসেন। সমাবেশস্থলে মঞ্চের সামনে বসার ব্যবস্থা করে চারদিক বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এটি ভরে সমাবেশস্থলে আসা অনেকেই আশপাশের রাস্তায়, উদ্যানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেন। প্রধানমন্ত্রী ও নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার সময়ও অনেককে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে অন্য পথে আবার বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সমাবেশে আসা যানবাহনগুলো রাস্তার পাশে রেখে দেওয়ার কারণে আশপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। সভাস্থলে যেতে না পেরে বিকেল চারটার দিকে জনসভায় আসা লোকজন অবস্থান নেন টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ এলাকায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরান ঢাকা থেকে আসা এক নেতা বলেন, ‘মিছিল নিয়ে আসাটাই বড় কথা। জনসভায় থাকাটা বিষয় না। মিছিলে আইলে নেতাও খুশি হন। নেতার খুশিই আমাগো খুশি।’ সভায় শিশু-কিশোরদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। সভাস্থলে যাওয়ার চেয়ে টিএসসি ও এর আশপাশের সড়কে এদের ঘোরাফেরা ছিল। মো. শিমুল নামে এক কিশোর জানায়, সে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার বেগুনবাড়ী থেকে এসেছে। ওই এলাকার কমিউনিটি সেন্টার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শিমুল এলাকার এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে জনসভায় এসেছে।সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম প্রমুখ। | 121,304 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:৪৭ | ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:৫১ | -1 | null | সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/693178 | নিরাপত্তার অজুহাতে অনির্দিষ্টকাল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। অবিলম্বে সামাজিক গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে দলটি। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলটির রাজনৈতিক কমিটির সভায় সরকারকে এ আহ্বান জানান দলটির নেতারা। পরে গণমাধ্যমে দলটির বক্তব্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী দেশের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর যদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম খুলতে হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। সরকারি এই তৎপরতা নাগরিকদের সাধারণ গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ। মাথাব্যথার জন্য আমরা মাথা কেটে ফেলার নামান্তর। দেশব্যাপী পরিচালিত অভিযানে গণগ্রেপ্তারের সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, যৌথ অভিযানে প্রকৃত সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের তুলনায় সাধারণ মানুষই বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক কমিটির সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, মুখলেছুর রহমান, আকবর খান ও আবু হাসান টিপু। | 177,111 |
রয়টার্স | international | আন্তর্জাতিক | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৩২ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৫ | আরব বিশ্ব | 0 | মসুল পুনর্দখলে সাঁড়াশি অভিযানে ইরাকি বাহিনী | http://www.prothom-alo.com/international/article/1084721 | আইএসের দখলে থাকা ইরাকের মসুল শহরের পশ্চিমাঞ্চল পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু হয়েছে জোরেশোরে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল এবাদি গতকাল রোববার সকালে এই অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। অভিযানের সময় মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।গত বছরের শেষ ভাগে অভিযান চালিয়ে শহরের পূর্ব দিক পুনর্দখল করে সরকারি বাহিনী ও তার মিত্ররা। তবে টাইগ্রিস নদীর পশ্চিমাঞ্চলে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সেখানে আটকে পড়েছে কয়েক লাখ বেসামরিক লোক। পশ্চিমাঞ্চল পুনর্দখল করাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন এবাদি। তিনি সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা মসুল স্বাধীন করতে আসছি। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। আইএসের সন্ত্রাসের হাত থেকে আমাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে আমাদের বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।’ইরাকি বাহিনী শহরের পশ্চিমাঞ্চল ঘিরে রেখে সকালে অভিযান শুরু করে কয়েকটি গ্রাম দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর বিমান হামলার জন্য প্রস্তুত মার্কিন জোট।ইরাকি বাহিনী বিমান থেকে লিফলেট ফেলছে নিচে। এতে আইএসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান এবং বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেন, মসুল পুনর্দখলের লড়াই হবে এযাবৎকালের অন্যতম কঠিন লড়াই।আটকে পড়া লোকজন বলছেন, ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্যও মসুলের বাসিন্দাদের প্রচণ্ড নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়। আটকা পড়ে আইএসের সদস্যরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। যদি কারও কাছে মুঠোফোন পাওয়া যায় তাহলে মৃত্যু অত্যাসন্ন। আইএস সদস্যদের আশঙ্কা, মুঠোফোনের মাধ্যমে তাঁদের তথ্য পাচার করা হচ্ছে।২০১৪ সাল থেকে মসুল আইএসের দখলে। সেখান থেকে অবরুদ্ধ এলাকাগুলোর দিকে অগ্রসরমাণ ইরাকি সেনাদের প্রতিরোধে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা। | 295,438 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ মার্চ ২০১৬, ০২:০৬ | ১৪ মার্চ ২০১৬, ০২:০৭ | পরিবেশ | 0 | বদ্বীপ পরিকল্পনা নদীর জন্য অশনিসংকেত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/798139 | দেশের নদীগুলোকে প্রভাবশালীদের মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নদীগুলোকে রক্ষার উদ্যোগ না নিয়ে সরকার দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত নদীগুলোর জন্য আরেকটি মহাপরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে। দেশের বিশেষজ্ঞদের যুক্ত না করে শুধু বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তা দেশের নদীগুলোর জন্য নতুন অশনিসংকেত হিসেবে দেখা দেবে।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলন। আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থা দুটি থেকে এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন।সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মতিন বলেন, ষাটের দশকে সবুজ বিপ্লবের নামে ভুল পরিকল্পনায় দেশে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর দেশের বেশির ভাগ উপকূলীয় নদী আজ মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এখন আবারও বিদেশি বিশেষজ্ঞনির্ভর বদ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান) নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। নেদারল্যান্ডসের বদ্বীপের আদলে করা ওই পরিকল্পনা বাংলাদেশের জন্য কখনোই বাস্তবসম্মত হবে না। বরং দেশের যে নদীগুলো কোনোমতে টিকে আছে, তা চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে।সংবাদ সম্মেলনে দেশের নদী রক্ষায় ১০টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বদ্বীপ পরিকল্পনা করা। প্রশাসনিক শক্তি প্রয়োগ করে সব শিল্পকারখানায় বর্জ্য পরিশোধন যন্ত্র সংযোজনে বাধ্য করা। শহুরে গৃহস্থালি ও হাসপাতাল বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ ও তরল বর্জ্য পরিশোধন সম্পূর্ণ বাধ্যতামূলক করা।তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বদ্বীপ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে নদী ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ভূমি উদ্ধার। ১০০ বছরের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। | 210,708 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৮:৪৩ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ১২:০৮ | -1 | null | রাজধানীর পথে পথে তল্লাশি, হয়রানিতে মানুষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/110665 | বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের পূর্বঘোষিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ রোববার রাজধানী ও রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তাব্যবস্থার কড়াকড়িতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ সকাল থেকে রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়ক, মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সাদা পোশাকে সক্রিয় রয়েছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের পাশাপাশি আছে র্যাব। সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আছেন।রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, নয়াপল্টন, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট মোড়, শাহবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, আসাদগেট, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, মহাখালী, বনানী, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তাঁরা পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছেন।খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সকালে সেখানে আট প্লাটুন পুলিশ মোতায়েনের খবর জানা গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নয়াপল্টনে ঢোকার সব পথে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সকাল ১০টা পর্যন্ত কার্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ দেখা গেছে। এই সময়ের মধ্যে ওই এলাকায় জোটের কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। সেখানে কোনো মঞ্চও নেই।ঢাকার সবগুলো প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। এসব জায়গায় রাজধানীমুখী মানুষ ও যানবাহনে ব্যাপকভাবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশি ছাড়া কাউকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন। বুড়িগঙ্গা সেতু, সদরঘাট, কেরানীগঞ্জে: বুড়িগঙ্গা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেতুতে পুলিশ তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যারিকেড দিয়েছে। প্রথম সেতুতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে একটিও লঞ্চ ঢাকায় আসেনি। ঢাকা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়েও যায়নি। সদরঘাট টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ না ছাড়ায় সকাল থেকে সেখানে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন।বুড়িগঙ্গা নদী নৌযানশূন্য রয়েছে। এমনকি খেয়া নৌকাও নেই। কেরানীগঞ্জে শতাধিক খেয়াঘাটে পুলিশি পাহারা রয়েছে। কোনো খেয়া নৌকা যাতে পাড়ে ভিড়তে না পারে, সে জন্য এসব স্থানে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন। খেয়া না থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর দাবি করেন, ‘আমরা যান চলাচলে কোনো রকম বাধা দিচ্ছি না।’ টঙ্গী: স্টেশন রোড ও চেরাগআলী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আড়াআড়িভাবে গাড়ি রেখে অবরোধ সৃষ্টি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তল্লাশির সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকেও রোগী ও যাত্রীদের নামিয়ে দিতে দেখা গেছে।সকাল নয়টার দিকে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন স্টেশন রোডে পুলিশের ব্যারিকেড পরিদর্শন করেন। তিনি রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদেরও তল্লাশির নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী কয়েকজন সাধারণ যাত্রী তল্লাশির নামে হয়রানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।স্টেশন রোড এলাকা থেকে সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন। গাবতলী: গাবতলী এলাকায় কয়েক স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও অবস্থান করছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ‘ওয়াচ টাওয়ার’ তৈরি করা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেখানে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। তবে ওই এলাকায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।গাবতলী এলাকা দিয়ে খুব অল্পসংখ্যক যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে কোনো ধরনের গণপরিবহন বা বাস ঢাকায় ঢুকছে না।ঢাকার বাইরে থেকে আসা অফিসগামী যাত্রীদের গাবতলী এলাকায় নামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেককেই দীর্ঘপথ হাঁটতে হচ্ছে। তল্লাশির সময় পরিচয়পত্র কিংবা গন্তব্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাতে ব্যর্থ হলে যাত্রীদের ঢাকায় ঢুকতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।গাবতলী সেতুর পূর্ব পাশে দারুস সালাম থানা পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা, সেতুর পশ্চিম পাশের এক পাড়ে ঢাকা জেলার পুলিশ ও অন্য পাড়ে র্যাব সদস্যরা অবস্থান নেয়। ঢাকায় ঢুকতে চাওয়া রিকশা আরোহী ও মোটর সাইকেল আরোহীদের তল্লাশি করছে তারা।মিরপুর এক নম্বরের ব্যবসায়ী রমিজউদ্দিনের বাসা সাভারে। তিনি সেখান থেকে ঢাকায় প্রবেশ করার পথে হয়রানির ব্যাপারে বলেন, তাঁকে পুলিশ গাবতলী সেতুর পশ্চিম পাশে আটকে দেয়। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা কোন দেশে বাস করছি? তারা সাধারণ মানুষের চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে।’গাবতলী-মাজার রোডের মোড়ে সাংসদ আসলামুল হক সমাবেশ করছে। লাঠি নিয়ে সহড়া দিচ্ছে।[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা এবং কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) ও টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি] | 39,400 |
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৭:২৮ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৭:২৮ | শিবগঞ্জ,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন | null | ‘তাঁর’ জন্য ‘তাঁরা’ও মাঠে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/716113 | গল্প, নাটক কি উপন্যাস—বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ‘সতিন’ চরিত্রকে নেতিবাচকভাবে দেখানো হয়। অবশ্য বাস্তবে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মাজেদা বেগম সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর তাঁর জয়ের জন্য সতিনেরা দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।তিন সতিন একসঙ্গে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ায় এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কয়েকজন ভোটার বলেছেন, বর্তমান সময়ে সতিনদের মধ্যে সাধারণত মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত হয় না। আর এখানে এক সতিনের জয়ের জন্য অন্য দুই সতিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। মাজেদা বেগমের পারিবারিক সূত্র জানায়, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর এলাকার বন্তেঘরী মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুস সামাদ তাঁর তিন স্ত্রীকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। যেকোনো এক স্ত্রীকে দিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব করেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, সামাদের তৃতীয় স্ত্রী মাজেদা বেগম হবেন সেই প্রার্থী।চার-পাঁচজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাজেদা বেগম সংরক্ষিত ২ নম্বর (৪, ৫ ও ৬) ওয়ার্ডে ‘কাঁচি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন ভোরে তিন সতিন মিনু বেগম, রেণু বেগম ও মাজেদা বেগম স্বামী আবদুস সামাদকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণায় বের হন। গভীর রাত পর্যন্ত ওয়ার্ডের এ-বাড়ি ও-বাড়ি ক্লান্তিহীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।বন্তেঘরী গ্রামের ভোটার বজলুর রহমান বলেন, তিন সতিনের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে আলাদা একটা উৎসাহ নিয়ে এসেছে। মাজেদা বেগম এখন এ পৌরসভার আলোচিত প্রার্থী।মাজেদা বেগম বলেন, ‘সতিন মানে মনে করা হয় শত্রু। কিন্তু আমি ভাগ্যবান। সতিনরা আমার কাছে বোনের মতো। অতি আপনজন। আমি নির্বাচিত হলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখব।’পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আবদুস সামাদের চার স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কারণে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। তিনি টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। | 184,640 |
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জুলাই ২০১৬, ০১:০৮ | ১৫ জুলাই ২০১৬, ০১:০৮ | বিশাল বাংলা | 0 | সংবর্ধনা অনুষ্ঠান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/914632 | ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) মো. সাবের হোসেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সাবের হোসেন ইউএনও হিসেবে তিন বছর চাকরি করার পর ২০০৪ সালের নভেম্বরে বদলি হন। দীর্ঘ ১২ বছর পর তিনি এক সরকারি সফরে গত বুধবার পীরগঞ্জে এসে প্রায় এক ডজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে বিভিন্ন সমস্যা লিপিবদ্ধ করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মেহের এলাহী। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবের হোসেন। | 240,282 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০৪ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০৫ | মহানগর | null | খালেদা একরামের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান শিক্ষক সমিতির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/319267 | জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরামকে ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি। গতকাল শনিবার রাতে সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে আবেদন করা হবে।গতকাল বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই সভা শেষে বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জয়নুল আবেদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপাচার্য নিয়োগের এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। রাষ্ট্রপতিকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য।’ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলনে যাবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সামনে ভর্তি পরীক্ষা বিবেচনা করে আমরা কোনো কমর্সূচিতে যাচ্ছি না। আমরা আশা করব, আমাদের অনুরোধ বিবেচনা করা হবে।’ তা না হলে ভর্তি পরীক্ষার পর সমিতির পরবর্তী সাধারণ সভায় কমর্সূচি বা আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক এস এম নজরুল ইসলামের মেয়াদ ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেদা একরামকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে শিক্ষক সমিতির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই বুয়েটে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। কিন্তু অধ্যাপক খালেদা একরামের নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনি ২৬ নম্বরে রয়েছেন। | 93,089 |
প্রতিনিধি, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ মে ২০১৮, ২৩:২০ | ৩১ মে ২০১৮, ২৩:২২ | হাটহাজারী,চট্টগ্রাম | 0 | কৃষি বিভাগের কার্যালয় ভেঙে ছাত্রলীগের সাইন বোর্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1500406 | চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে কৃষি বিভাগের ইউনিয়ন বীজাগার কার্যালয় ভেঙে লাগানো হয়েছে ছাত্রলীগের কার্যালয়ের সাইন বোর্ড। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এর আগে বুধবার রাত থেকে ওই কার্যালয়ের ছাদ ভাঙা শুরু হয়।কার্যালয়টি থেকে ওই ইউনিয়নের কৃষকদের চাষাবাদ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হতো। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সেখানে বসতেন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় অভিযোগ করেছেন হাটহাজারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ ওয়াহেদ।হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তার উননেছা শিউলি প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনাটি শোনার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দ্রুত থানায় অভিযোগ করতে বলেছি।হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (ওসি) বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনায় থানায় করা অভিযোগ হয়েছে। কাজ বন্ধ করা হয়েছে। কারা এই কাজটি করছে সেটা তদন্ত চলছে।এ সম্পর্কে হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুর রহমান রাসেলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। আর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এ রকম খবর এখন আপনার কাছ থেকে শুনছি। খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি। এরপর থেকে তিনি আর ফোন ধরেননি। | 365,640 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০০ | ০১ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০১ | -1 | null | ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ফজলে কবীর অবসরে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/112696 | আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর অবসর নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে তিনি গতকাল মঙ্গলবার তাঁর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।বিচারপতি ফজলে কবীর অবসরে যাওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যানের পদ কার্যত শূন্য হলো। গতকাল পর্যন্ত এ পদে কাউকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার।বিচারপতি ফজলে কবীরের মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে গতকাল তাঁর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুহাম্মদ আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। পরে বিচারপতি ফজলে কবীরকে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়।১৯৪৭ সালের ১ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চামাগ্রামে জন্মগ্রহণকারী বিচারপতি ফজলে কবীর ১৯৭৫ সালে মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে বিচার বিভাগে যোগ দেন।দীর্ঘ বিচারিক জীবনে তিনি ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধায় জেলা ও দায়রা জজ এবং রাজশাহীর বিশেষ বিভাগীয় আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নিয়মিত বিচারপতি পদে নিয়োগ পান।বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মুন সিনেমা হলের মালিকানা-সংক্রান্ত সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় দেন। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলে বিচারপতি ফজলে কবীরকে ট্রাইব্যুনালের সদস্য নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠিত হলে তাঁকে ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান করা হয়।ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করলে ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি ফজলে কবীরকে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির রায় দেন। | 40,268 |
সিলেট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মার্চ ২০১৬, ০০:৪৫ | ২১ মার্চ ২০১৬, ০০:৪৬ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | চিকিৎসকদের আর্তমানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/805093 | জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম এ মালিক বলেন, চিকিৎসক কিংবা সেবিকাদের শুধু টাকা রোজগার করলেই হবে না, সেবার উদ্দেশে এগিয়ে আসতে হবে। চিকিৎসকদের আর্তমানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।গত শনিবার সকালে স্মাইল ট্রেন, এসএনএডি ও ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নগরের উপশহর এলাকার জালালাবাদ গ্যাস মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০১১ সালের পর থেকে সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতাল ঠোঁট ও তালুকাটা দুই হাজার রোগীকে বিনা মূল্যে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেডের পরিচালক রুকনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম, স্মাইল ট্রেনের কান্ট্রি ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। | 212,869 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ আগস্ট ২০১৬, ১৫:০৪ | ০৯ আগস্ট ২০১৬, ১৫:০৬ | রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ | 0 | ২০ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেটসহ দুজন আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/940762 | হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজ মঙ্গলবার সকালে ৩৪০ কার্টন বিদেশি সিগারেটসহ দুই যাত্রীকে আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এসব সিগারেটের মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।আটক দুজন হলেন নূর আলম ও আবদুল হালিম।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেন, সকাল নয়টার দিকে ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে করে আরব আমিরাত থেকে আসেন নুর আলম ও আবদুল হালিম। তাঁদের সঙ্গে থাকা চারটি লাগেজ তল্লাশি করে ৩৪০ কার্টন দক্ষিণ কোরিয়ার ইজি ব্র্যান্ডের সিগারেট আটক করা হয়। নূর আলমের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে ও হালিমের বাড়ি ফেনী জেলায়। দুজনই আরব আমিরাতে চাকরি করতেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। | 247,915 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:১৭ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:১৯ | রাজনীতি | 0 | সরকার নাশকতা চালাচ্ছে: জামায়াত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/92431 | জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর উদ্দেশ্যেই সরকার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে সারা দেশে অন্তর্ঘাত ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। এতে দাবি করা হয়, সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন দমনের জন্য গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার এবং নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করছে। | 33,747 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:১৩ | ৩০ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:১৪ | অপরাধ,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ | 0 | রাজশাহীতে প্রতিমন্ত্রী-উপাচার্যসহ ৮ জনকে হত্যার হুমকি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/699067 | রাজশাহীতে এবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিজানউদ্দিন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক ও রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহারসহ আটজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে উড়ো চিঠি পাঠানো হয়েছে।আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ) নামের একটি সংগঠনের বরাত দিয়ে রাজশাহীর স্থানীয় একটি পত্রিকার কার্যালয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়। রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সানশাইন পত্রিকার কার্যালয়ে আজ সোমবার সকালে ডাকযোগে চিঠিটি পৌঁছে। সংগঠনটির প্যাডে চিঠিটি লেখা হয়েছে।চিঠিতে আরও যাঁদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হায়াত, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও দৈনিক সানশাইন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইউনুস আলী। চিঠির ওপরে লেখা রয়েছে ‘রাজশাহী শহরে আমাদের টার্গেটসমূহ’।চিঠির শুরুতেই লেখা হয়, ‘আলহামদুল্লিহ। আমাদের বাংলাদেশ শাখার উপশাখা রাজশাহী অঞ্চলে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা রাজশাহী অঞ্চলে আল্লাহ, রাসূল ও মুসলমানের নিকৃষ্টতম দুশমনদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছি। আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় এদের প্রত্যেককে হত্যা করা হবে।’এরপর আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম লেখা হয়েছে। শেষে ‘মূলকথা’ শিরোনাম দিয়ে লেখা হয় ‘আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীনের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন এবং আল্লাহ নয়, অন্য কারও কাছে নতি স্বীকার করেছে, তারা আমাদের টার্গেট। সাধারণ কোনো মুসলমান আমাদের টার্গেট নয়।’চিঠির নিচে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ) প্রধান হিসেবে মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ ও রাজশাহী অঞ্চলের স্থানীয় প্রধান নির্দেশক হিসেবে রাজশাহী কলেজের শিক্ষক হবিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও চিঠির খামে প্রেরক হিসেবে অধ্যাপক আবু সিদ্দিকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।এ ব্যাপারে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, এগুলো ফেক। তাঁকে বেকায়দায় ফেলতে কোনো চক্র তাঁর নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে।জানতে চাইলে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহার বলেন, এগুলো মিথ্যাও হতে পারে। তবে সত্য হোক আর মিথ্যা হোক এগুলোকে কম গুরুত্ব দিয়ে দেখার সুযোগ নেই।এ ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ফোনটি বার বার ব্যস্ত পাওয়া যাচ্ছে। | 178,972 |
আবদুস সালাম | economy | অর্থনীতি | ২৬ জুন ২০১৯, ১৯:০০ | ২৬ জুন ২০১৯, ১৯:২৯ | অর্থনীতি,ছবির গল্প,বাণিজ্য সংবাদ | null | নিবু নিবু হারিকেনের আলো | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1601278 | ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের আশ্রাফাবাদ এলাকায় ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হারিকেন কারখানা নিউ তাজ কিং ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড। একসময়কার অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ‘তাজ হারিকেন’ এখানেই উৎপাদিত হয়। তবে তাজের জৌলুস আর নেই। গ্রাম-গঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, শহরে লোডশেডিং কমেছে। তাই কমেছে হারিকেনের কদর। আগে এই কারখানায় কাজ করতেন প্রায় ৪০০ শ্রমিক। এখন সেখানে কাজ করেন ১০০ জনের মতো। আগে বাংলাদেশ সবখানে পাওয়া যেত তাজ হারিকেন। দেশের চাহিদা পূরণ করে বাইরেও রপ্তানি হতো। কারখানার ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুর রহমানের দাবি, ঢাকায় এখন হারিকেনের কারখানা এই একটিই। এখানে প্রতিটি হারিকেনের পাইকারি দাম ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। ছবিগুলো বুধবারের। | 407,522 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৪৪ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:৪৬ | বাংলা গান | 0 | ফেসবুক প্রোফাইল ফ্রেমে গানের প্রচার | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1042111 | বিজয় দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে বিভিন্ন টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলে শোনা যাচ্ছে শিল্পী সুস্মিতা আনিসের দেশাত্মবোধক গান ‘এ প্রাণ আমার বাংলাদেশ’। এর ডিজিটাল প্রচারের অংশ হিসেবে গানটির কথাসংবলিত ফেসবুক প্রোফাইল ফ্রেম বানানো হয়। ফ্রেমের কোথাও গানটির প্রচারের কথা উল্লেখ নেই। গাঙচিল মিউজিকের ব্যানারে বের হওয়া গানটির সুর দিয়েছেন শেখ সাদি খান, কথা মুনিরুজ্জামান মুনিরের। সংগীতায়োজন করেছেন ভারতের শিল্পী অনুপম রায়। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন গাজী শুভ্র। পদ্মা নদীর প্রত্যন্ত একটি চরে মিউজিক ভিডিওটির চিত্রগ্রহণ করা হয়। দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্র তারকা, ক্রিকেটার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে অনেকের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে ‘এ প্রাণ আমার বাংলাদেশ’ ফ্রেম। তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে এ গানটি করা হয়েছে বলে জানান সুস্মিতা। সুস্মিতা বলেন, যেহেতু দেশাত্মবোধক গানটি তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে গাওয়া হয়েছে, তাই গানটির মিউজিক ভিডিওতে তাদের উপস্থিতি আছে। গানটিতে আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবহারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার দৃশ্য রয়েছে। এ ছাড়া ভিডিওটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে অর্জিত সাফল্যও আছে বলে জানান সুস্মিতা। | 275,066 |
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ নভেম্বর ২০১৩, ১৮:২৮ | ১১ নভেম্বর ২০১৩, ১৮:৫০ | খাগড়াছড়ি,রাজনীতি,চট্টগ্রাম | null | বিএনপি নেত্রী হরতাল দিয়ে আরামে ঘরে বসে থাকেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/71272 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন অব্যাহত আছে। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ শান্তিচুক্তি করে, বিএনপি করে তার উল্টো। বিএনপির নেত্রী শান্তি চান না, তিনি হরতালের ডাক দেন আর আরাম-আয়েশে ঘরে বসে থাকেন।আজ সোমবার খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় আসলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। শেখ হাসিনা এর আগে খাগড়াছড়ি সফর করেন ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় পার্বত্য চুক্তির আলোকে তত্কালীন শান্তি বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। আজকের সফরে প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়িতে ১৩টি প্রকল্প উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। | 27,026 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৯ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৯ | খবরাখবর,বিজ্ঞান-প্রযুক্তি | 0 | উইকিমিডিয়া সম্মেলনে প্রশংসিত বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/technology/article/841576 | টেবিল ভর্তি চকলেট দেখেই জিবে জল আসে। এই চকলেটগুলো এনেছেন সারা বিশ্বের ৪১টি শাখা এবং বিভিন্ন দলের উইকিপিডিয়ানরা (উইকিপিডিয়ার স্বেচ্ছাসেবক)। সেখানে বাংলাদেশের চকলেটও ছিল। ইন্টারনেটে মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস কিন্তু সেটিই তুলে নিলেন প্রথমে। নানা আয়োজনে ২২-২৪ এপ্রিল জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরের বার্ষিক উইকিমিডিয়া সম্মেলন। উইকিপিডিয়া পরিচালনাকারী সংস্থা উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত বার্ষিক এ সম্মেলনে উইকিমিডিয়ার সদস্যরা নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।২২ এপ্রিল সম্মেলনের প্রথম দিন ছিল পরিচিতি পর্ব। নিজেদের মধ্যে পরিচিতি বাড়ানোর জন্য সবাইকে দেওয়া হয় পেনসিল এবং কয়েক টুকরা কাগজ। বলা হয়, যে কাউকে ধরে পাঁচ সেকেন্ডে তার ছবি আঁকতে এবং জানতে তারা কীভাবে উইকিপিডিয়ার ১৫ বছর উদ্যাপন করেছেন! মজার এ আয়োজন দিয়ে শুরু হয় মূল সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং শীর্ষ নির্বাহীরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া নানা পর্বে যোগ দিয়েছেন উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন মেহের। ক্যাথরিন জানান, ‘নতুন দায়িত্বটা আসলে একজন পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত পালন করতে হবে। তবে এর মধ্যেই যতটা সম্ভব উইকিমিডিয়ার কার্যক্রম বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে দিতে চাই।’ চলতি বছর এ সম্মেলনে বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রশাসক ও উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের পর্ষদ সদস্য হিসেবে এই প্রতিবেদক এবং উইকিমিডিয়া অ্যাফিলিয়েশন কমিটির সদস্য হিসেবে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ তানভির মোর্শেদ অংশ নিয়েছেন।সম্মেলনে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আয়োজিত বাংলা উইকিপিডিয়ায় ভালো নিবন্ধ তৈরির বিশেষ আয়োজন ‘গুড আর্টিকেল-এ-থন’-এর সফল অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তানভির মোর্শেদ। তিনি জানান, বাংলা উইকিপিডিয়া নিয়ে আয়োজিত দুই মাসব্যাপী এ উদ্যোগের মডেলটি সম্মেলনে প্রশংসিত হয়েছে। এ নিয়ে সম্মেলনে বিশেষ পোস্টারও প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আরেকটি উদ্যোগ ‘উইকিপিডিয়া স্কুল প্রোগ্রাম’ নিয়েও বিশেষ উপস্থাপনা দেওয়া হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উইকিপিডিয়ার বর্তমান এবং আগামী বছরের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।নুরুন্নবী চৌধুরী, বার্লিন (জার্মানি) থেকে | 224,209 |
ভোলা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৪৬ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৪৬ | ভোলা,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বেতার-শ্রোতা ক্লাবের সভা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/321082 | বাল্যবিবাহ রোধ ও বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা দূরীকরণে বাংলাদেশ বেতার বরিশালের ভোলায় ‘কিশোর-কিশোরী বেতার-শ্রোতা ক্লাব গঠনবিষয়ক অবহিতকরণ সভা করেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই সভা শুরু হয়। ভোলার সর্বস্তরের ৩৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কিশোর-কিশোরী উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করেন। বেতারের বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ফরিদ উদ্দিন, বরিশাল বেতারের সহকারী পরিচালক মুনিরুল হাসান প্রমুখ। | 93,696 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৬:৫৩ | ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৬:৫৭ | -1 | 0 | আঞ্চলিক সংযোগের লাভ দৃশ্যমান হতে হবে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1121601 | আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় যোগ দেওয়া ঠিক হবে কি না, বাংলাদেশে এ প্রশ্ন এখন আর নেই বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পরিবহন সংযুক্তি (কানেকটিভিটি) লাগবে। তা থেকে দৃশ্যমান লাভও দেখাতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে লাভ দেখাতে না পারলে আবার পেছনে ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেকের আঞ্চলিক সংযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। আজ সোমবার সকালে নিজেদের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) এর আয়োজন করে। এতে বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক নিলুফার ইয়াসমিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত শাহেদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যদি একটি দেশ আন্তরিকভাবে আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করে, সেটি বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশে জাতীয় ঐকমত্য আছে। এখন বাংলাদেশ একদিকে সার্কে বিনিয়োগ করছে, একদিকে বিমসটেকে বিনিয়োগ করছে, আবার বিবিআইএনে বিনিয়োগ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ভূরাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক দিয়ে একটি মাহেন্দ্রক্ষণে আছে। এ সম্ভাবনাকে বাংলাদেশ কীভাবে কাজে লাগাবে, কীভাবে এটিকে একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে, সেটা এখন দেখার বিষয়। বাংলাদেশকে এখন আর ছোট দেশ নয় উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আজকের দুনিয়াতে বড়-ছোট শুধু জনসংখ্যা বা অর্থনৈতিক আয়তন দিয়ে হয় না। এটা ঠিক হয় অর্থনীতির ভিত্তি কতটা শক্তিশালী, ধাক্কা সহ্য করার ক্ষমতা কতটুকু, সামাজিক শক্তি কতটুকু, নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষমতা কতটুকু—এসব বিষয় বিবেচনায়। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোট, এ মানসিকতা বদলাতে হবে। নইলে আমরা কখনো বড় হতে পারব না। আমার দেশের শক্তি আসবে অর্থনীতির ভিত্তিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে, শিল্পায়নের মাধ্যমে, কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে, সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি করা ইত্যাদির মাধ্যমে এবং তার সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা, শান্তি, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করাও গুরুত্বপূর্ণ।’ | 306,834 |
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ মার্চ ২০১৫, ১২:৫৫ | ০৪ মার্চ ২০১৫, ১৩:০১ | অপরাধ | 0 | জুড়ীতে বাসে আগুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/467734 | মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার ভোররাত চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদুর রহমান সিদ্দিকী জানান, দুর্বৃত্তরা ‘লিটন এন্টারপ্রাইজ-১’ নামের বাসটিতে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন দেয়। এতে বাসটির ভেতরের সিট ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ পুড়ে গেছে। এরপর স্থানীয় লোকজন বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।ওসি জানান, অবরোধ-হরতাল সমর্থকেরা বাসটিতে আগুন দিতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। | 120,126 |
-1 | sports | খেলা | ৩১ আগস্ট ২০১৪, ০২:০১ | ৩১ আগস্ট ২০১৪, ০২:০৩ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | স্টাম্পিং শিকারি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/305971 | কাল ট্রেন্ট ব্রিজে ভারতীয় স্পিন ফাঁদে পা দিয়ে স্টাম্পড হয়ে গেলেন অ্যালিস্টার কুক। মহেন্দ্র সিং ধোনির শিকার তালিকায় যোগ হলো আরেকটি স্টাম্পিং। তিন ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে এটা ছিল ভারত অধিনায়কের ১৩০তম স্টাম্পিং। কুককে আউট করেই কুমার সাঙ্গাকারার ১২৯ শিকারকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিংয়ের মালিক হয়ে গেলেন ধোনি। পরে জো রুটকেও স্টাম্পড করে শিকারসংখ্যা আরেকটি বাড়িয়ে নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনি-সাঙ্গাকারা ছাড়া ১০০ স্টাম্পিং আছে শুধু রুমেশ কালুভিথারানার। শ্রীলঙ্কার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী কালু ১০১টি স্টাম্পিং করেছেন। পাকিস্তানের মঈন খান (৯৩) ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৯২) আছেন এরপরই। ৬৪ স্টাম্পিং নিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অবস্থান আটে। | 89,422 |
কবির হোসেন, মাগুরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:২৮ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৩:০২ | খুলনা বিভাগ,মাগুরা,রাজনীতি,বিশাল বাংলা | null | পাঁচ বছরে ফ্ল্যাট, গাড়ির মালিক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/110575 | নবম সংসদ নির্বাচনের আগে বাড়ি-গাড়ি ছিল না। নিজের আয় ও সম্পদ-সম্পত্তি ছিল সামান্য। পাঁচ বছরে কিনেছেন কোটি টাকার বাড়ি-গাড়ি। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামাতেই এ তথ্য দিয়েছেন মাগুরা-২ (শালিখা, মহম্মদপুর ও সদরের একাংশ) আসনের সাংসদ বীরেন শিকদার।২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় বীরেন শিকদার উল্লেখ করেন, আইন পেশা থেকে তিনি বছরে আয় করেন এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২০ বিঘা জমি থেকে বছরে ৫২ হাজার এবং বাড়ি ও দোকানভাড়া থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করেন। দুই ভাই বিমলেন্দু শিকদার ও বিবেকানন্দ শিকদারের বার্ষিক আয় যথাক্রমে এক লাখ ৯৫ হাজার ও এক লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে দুই লাখ ও স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে ৬৫ হাজার ও স্ত্রীর নামে ৪১ হাজার ৬৯০ টাকা থাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন। নিজের কোনো মোটরযান না থাকলেও বিমলেন্দু শিকদারের ৮৫ হাজার টাকা দামের একটি পুরোনো জিপগাড়ি ও বিবেকানন্দ শিকদারের এক লাখ টাকা দামের একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল ২৫ শতাংশ কৃষিজমি। এ ছাড়া ১০ শতাংশ যৌথ মালিকানার অকৃষি জমি ছিল। মাগুরা শহরে যৌথ মালিকানার দ্বিতল বাড়ি ও শালিখার সিংড়া গ্রামে আরেকটি পাকা বাড়ি রয়েছে।এবারের হলফনামায় বীরেন শিকদার উল্লেখ করেন, আগের সম্পদ-সম্পত্তি ছাড়াও তিনি ঢাকার উত্তরায় এক কোটি পাঁচ লাখ টাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। শুল্কমুক্ত সুবিধায় টয়োটা গাড়ি কিনেছেন ৬৫ লক্ষাধিক টাকায়। ৭০ শতাংশ যৌথ মালিকানার জমি হয়েছে। তবে জমিটি কোথায় বা দাম কত, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এবার তিনি তাঁর ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পত্তির তথ্য দেননি।হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পত্তি ছাড়াও বীরেন শিকদারের আরও সম্পদ রয়েছে। শহরের এমআর রোডে শিকদার মেডিকেল নামের ওষুধের দোকান ও সনোপ্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। রয়েছে ইউনিওয়ার্ল্ড বিডি লিমিটেড নামের একটি গার্মেন্টস। এ তিনটি প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন বিবেকানন্দ শিকদার ও বিপুল শিকদার। শহরের সৈয়দ আতর আলী সড়কে রেড স্টাইল নামে বড় একটি তৈরি পোশাকের দোকান রয়েছে সাংসদের ছেলের। বিমলেন্দু শিকদার পাঁচ বছরে কয়েক কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করেছেন।এ বিষয়ে বীরেন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ঋণ নিয়ে তিনি গাড়ি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। ভাইয়েরা আলাদাভাবে ব্যবসা করেন, করও দেন। তাই তাঁদের বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বীরেন শিকদার নিয়ম ভেঙে চারটির জায়গায় নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়েছেন। গত পাঁচ বছরে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার তথ্য জানা গেছে। প্রতিটি নিয়োগে চার থেকে নয় লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।এ ছাড়া সাংসদের ভাই বিমলেন্দু শিকদার দুটি কলেজসহ পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি। এখানে গত পাঁচ বছরে কয়েক কোটি টাকার নিয়োগ-বাণিজ্য হয়েছে।জানতে চাইলে বীরেন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিয়োগের জন্য একটি কমিটি থাকে। এককভাবে নিয়োগ দেওয়ার কোনো সুযোগ আমার নেই।’ | 39,439 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৭:৩৫ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৮:৫২ | সরকার | 0 | পুলিশে রদবদল, চট্টগ্রাম ও সিলেটে নতুন কমিশনার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/320452 | পুলিশের ১১ ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদে রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট মহানগরে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন।আবদুল জলিল মণ্ডলকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার করা হয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন। আর সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন রেলওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) কামরুল আহসান।আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমানকে। সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মকবুল হোসেন ভূঁইয়াকে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। আর র্যাবের পরিচালক মল্লিক ফখরুল ইসলামকে রেলওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে।বরিশালের পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিনকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুব হোসেনকে একই সংস্থার ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে।পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকুল ইসলামকে ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে। আর সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে সদর দপ্তরের ডিআইজি মনজুর কাদের খানকে।সারদা পুলিশ একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল সোহরাব হোসেনকে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি করা হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মিশন থেকে ফেরা অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া। | 93,323 |
আব্দুল কাইয়ুম | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৯ জুন ২০১৯, ০০:০৫ | ০৯ জুন ২০১৯, ১০:৩৪ | গণিত ধাঁধা,আব্দুল কাইয়ুম | null | রাইডের গতি হাঁটার চেয়ে কত গুণ ছিল? | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1598219 | গণিতের কিছু সমস্যা অনেক সময় মনে মনে হিসাব করে সমাধান করা যায়। যেমন ১০৬ সংখ্যাটির বর্গ বের করতে হবে। খুব সহজে এর মান বের করার একটি উপায় হলো ১০৬–থেকে ৬ বিয়োগ করি আবার সংখ্যাটির সঙ্গে ৬ যোগ করি। এবার নতুন সংখ্যা দুটির গুণফল সহজেই বের করা যায়। কারণ, ৬ বিয়োগ করলে থাকবে ১০০ এবং তখন যেকোনো সংখ্যাকে ওই ১০০ দিয়ে গুণ করা সেকেণ্ডের ব্যাপার। সেজন্যই ৬ বিয়োগের কৌশল। তাহলে হিসাবটা দাঁড়াল, (১০৬–৬) × (১০৬ + ৬) = (১০০ × ১১২) = ১১২০০। এবার এর সঙ্গে ৬–এর বর্গ যোগ করি। (৬)২ = ৩৬। (১১২০০ + ৩৬) = ১১২৩৬। এটাই ১০৬–এর বর্গ। একইভাবে ২০৫–এর বর্গ = (২০৫–৫) × (২০৫ + ৫) = (২০০ × ২১০) = ৪২০০০। এবার এর সঙ্গে ৫–এর বর্গ = ২৫ যোগ করি। (৪২০০০ + ২৫) = ৪২০২৫। এটাই ২০৫–এর বর্গ। প্রশ্ন হলো এত সহজে হিসাব করা সম্ভব হয় কীভাবে? বীজগণিতের সাহায্যে এর ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। ধরা যাক মূল সংখ্যাটি ‘ক’। এবং ‘খ’ অপর একটি সংখ্যা। আমরা ক–এর বর্গ কত সেটা বের করতে চাই। এখন (ক–খ) × (ক + খ) = (ক২–খ২)। এবার এর সঙ্গে (খ২) যোগ করলে থাকবে শুধু (ক২), অর্থাৎ যে সংখ্যার বর্গ বের করতে চাচ্ছি, সেটাই। আমরা ১০৬ বা ২০৫–এর বর্গ বের করার সুবিধার জন্য খ–এর মান এমনভাবে ঠিক করেছি যেন মূল সংখ্যার সঙ্গে সেটা যোগ ও বিয়োগ করলে নতুন সংখ্যা দুটির গুণফল মুখে মুখে হিসাব করে বের করা যায়। কৌশল এখানেই।আরেকটি বিষয় দেখুন। আমরা লক্ষ করি যে ১–এর ছোট কোনো সংখ্যাকে বর্গ করলে তার মান মূল সংখ্যার চেয়ে ছোট হয়ে যায়, কিন্তু ১–এর বড় যেকোনো সংখ্যার বর্গ সেই সংখ্যার চেয়ে বড় হয়। যেমন, (০.২৫) সংখ্যাটি ১–এর চেয়ে ছোট। এর বর্গ = (০.২৫)২ = (০.০৬২৫), যা (০.২৫) এর চেয়ে অনেক ছোট। অথচ (২)২ = ৪, যা ২–এর চেয়ে বড়। ১–এর ছোট–বড় সংখ্যা হওয়ার কারণে এর বর্গের এমন পার্থক্যের কারণ কী? বিভিন্নভাবে এটা ব্যাখ্যা করা যায়। সহজে বোঝার জন্য আমরা বলতে পারি, (০.২৫) = (১/৪), একটি ভগ্নাংশ। এখন একে বর্গ করলে হবে (১/৪)২ = (১/১৬)। এখানে হরের মান ৪–এর বর্গ, হরের মানের চেয়ে অনেক বড় হবে। কারণ (৪)২ = ১৬। কিন্তু লব–এর মান ১–এর বর্গ =১, যা অপরিবর্তিত থাকবে। যেহেতু ভগ্নাংশের বর্গ করলে লব–এর চেয়ে হর–এর মান বেড়ে যায়, তাই পুরো ভগ্নাংশের বর্গের মান কমে যাবে। এ কারণেই আমরা লক্ষ করি, ১–এর চেয়ে ছোট কোনো সংখ্যার বর্গ, মূল সংখ্যাটির চেয়ে ছোট হয়ে যায়।এ সপ্তাহের ধাঁধাএক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে অফিস যাচ্ছেন। মোট দূরত্বের দুই–তৃতীয়াংশ পথ যাওয়ার পর প্রচণ্ড যানজটে পড়লেন। তিনি অবশিষ্ট পথ হেঁটে অফিসে পৌঁছলেন। এতে মোটর সাইকেলে যত সময় তিনি চলেছেন, তার ৫ গুণ সময় হাঁটতে হয়েছে। তাঁর হাঁটার তুলনায় মোটর সাইকেলের গতি কত গুণ ছিল? খুব সহজ। অনলাইনে মন্তব্য আকারে অথবা quayum@gmail.com ই–মেইলে আপনাদের উত্তর পাঠিয়ে দিন। সঠিক উত্তর দেখুন আগামী রোববার অনলাইনে।গত সপ্তাহের ধাঁধার উত্তরধাঁধাটি ছিল এ রকম: এক ব্যক্তি ট্রেনে যাচ্ছেন। গন্তব্যের অর্ধেক অংশ পার হওয়ার পর তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। অবশিষ্ট দূরত্বের চারভাগের একভাগ দূরত্ব অতিক্রমের পর তিনি জেগে দেখেন গন্তব্যে যেতে বাকি আরও ৬ কিলোমিটার। বলুন তো তাঁর মোট গন্তব্য কত দূর ছিল?উত্তরতাঁর গন্তব্যস্থলের মোট দূরত্ব ছিল ১৬ কিলোমিটার। প্রায় সবাই সঠিক উত্তর দিয়েছেন। ধন্যবাদ।কীভাবে উত্তর বের করলামওই ব্যক্তি প্রথমে অর্ধেক = (১/২) অংশ পার হয়েছেন। বাকি থাকল (১/২) অংশ। এরপর ঘুমিয়েছেন বাকি পথের এক–চতুর্থাংশ = (১/২) এর (১/৪) = (১/৮) অংশ। সুতরাং তিনি মোট দূরত্ব অতিক্রম করেছেন (১/২) + (১/৮) = (৫/৮) অংশ। বাকি থাকল (১ – ৫/৮) অংশ = (৩/৮) অংশ। এটা ৬ কিলোমিটারের সমান। সুতরাং পুরো পথের দূরত্ব = (৬ × ৮/৩) = (২ × ৮) = ১৬ কিলোমিটার।আব্দুল কাইয়ুম, সম্পাদক, মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা | 405,314 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৪৩ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৪৪ | খেলা | 0 | ২৫তম হয়ে ফিরছেন জিয়া | http://www.prothom-alo.com/sports/article/426364 | প্রতিযোগিতা খুব কঠিন ছিল। ১৮টি দেশের ২২ জন গ্র্যান্ডমাস্টার ও ৩ জন মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার অংশ নেন নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৩তম পরশনাথ ওপেন গ্র্যান্ডমাস্টার্স দাবায়। তাই বলে ফল এত খারাপ হবে, এটা হয়তো ভাবেননি জিয়াউর রহমান। ১০ খেলায় ৬.৫ পয়েন্ট নিয়ে ২৫তম হয়েছেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার। কাল দশম ও শেষ রাউন্ডের খেলায় জিয়া ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার স্বপ্নীলের সঙ্গে ড্র করেন। প্রতিযোগিতায় ৮ পয়েন্ট করে নিয়ে টাইব্রেকিংয়ে ইউক্রেনের গ্র্যান্ডমাস্টার আন্দ্রেই ব্যারি পোলেটস চ্যাম্পিয়ন, রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ইভান পোপভ রানারআপ এবং ইতালির গ্র্যান্ডমাস্টার ডেভিড আলবার্তো তৃতীয় হয়েছেন। | 107,394 |