author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪৪ | ০৬ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪৫ | লালমনিরহাট,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | হাতীবান্ধায় গ্রেপ্তার ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/821071 | লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গত শনিবার রাতে ইব্রাহীম হোসেন (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় খালু নান্নু মিয়াকে (৪০) গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।নিহত ইব্রাহীম হাতীবান্ধার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে ওই ইউনিয়নের আমঝোল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। আর নান্নুর বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফতেয়াপুর গ্রামে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নান্নুর স্ত্রী আছিয়া বেগম সম্প্রতি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে হাতীবান্ধায় বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরে তিনি স্বামীর ঘর-সংসার করবেন না জানিয়ে ঢাকায় চলে যান। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ইন্ধন আছে বলে ক্ষুব্ধ হন নান্নু। গত শনিবার দেলোয়ারের বাড়িতে নান্নু বেড়াতে আসেন। ওই রাতেই দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে ইব্রাহীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করার পর দাদি ধওলী বেগম (৫০) ও ইব্রাহীমের ছোট ভাই আবু বক্করকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে নান্নুকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন দেলোয়ার। পরে হাতীবান্ধার নওদাবাস গ্রামে অভিযান চালিয়ে গতকাল ভোরে নান্নুকে গ্রেপ্তার করা হয়। | 217,758 |
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুলাই ২০১৫, ০১:০৫ | ২৩ জুলাই ২০১৫, ০১:০৯ | নান্দাইল,ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ | 0 | শ্বশুরবাড়িতে মার খেয়ে জামাতা হাসপাতালে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/582415 | ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় গতকাল বুধবার পাওনা টাকা চাওয়ায় মো. সাইফুল ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যক্তি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাইফুলকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।চিকিৎসাধীন সাইফুল বলেন, তাঁর বাড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ভাটিসাভার গ্রামে। তিনি গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন। ২০০৮ সালে তিনি নান্দাইল পৌরসভার বালিয়াপাড়া মহল্লার সুরুজ আলীর মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁর কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেন শ্বশুর সুরুজ। পরে ওই টাকা ফেরত চাইলে তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ হন শ্বশুর। তিনি ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার পর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান। গত মঙ্গলবার তিনি শ্যালক আনোয়ার হোসেনের বিয়েতে অংশ নেন। বিয়ের সময় আর্থিক খরচ বহনে অপারগতা জানালে শ্বশুর তাঁকে অপমানজনক কথাবার্তা বলেন। এ কারণে তিনি রাগ করে চলে যান। গতকাল তিনি স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান। ওই সময় তিনি ধারের টাকা ফেরত চাইলে শ্বশুর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে গালাগাল শুরু করেন। তিনি প্রতিবাদ জানালে শ্বশুর তাঁর গলায় গামছা পেঁচিয়ে টেনেহিঁচড়ে উঠানে ফেলে মারধর শুরু করেন। এ সময় তাঁর দুই শ্যালকও তাঁকে মারধর করে।সাইফুল আরও বলেন, ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী উপস্থিত থাকলেও এর প্রতিবাদ করেননি, বরং তাঁর স্ত্রী তাঁকে মারধরে বাবা ও ভাইদের উসকানি দিয়েছেন। সুরুজ ও তাঁর ছেলেদের মুঠোফোন নেই। তাই এ ব্যাপারে জানতে সুরুজের চাচাতো ভাই লাল মিয়ার মুঠোফোনে ফোন করে সুরুজকে দিতে বলা হয়। এ সময় লাল মিয়া বলেন, সুরুজকে পাওয়া যাচ্ছে না। মারধরের বিষয়ে লাল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তবে বাড়িতে ছেলেপেলের সঙ্গে জামাইয়ের কিছু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। থানার এসআই মাসুদ জামালী বলেন, তিনি গতকাল থানার ফটকের কাছে কর্তব্যরত ছিলেন। তখন কয়েকজন লোক একটি ইজিবাইকে করে আহত এক ব্যক্তিকে থানার ভেতরে নিতে চান। তিনি আহত ব্যক্তির চিকিৎসা করে পরে আইনি পদক্ষেপের পরামর্শ দেন। | 154,344 |
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ০২:৩০ | ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:২৯ | ময়মনসিংহ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা বিভাগ | null | ইলিশের স্যুপ ও নুডলস | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1346971 | বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক এ কে এম নওশাদ আলম ইলিশ থেকে স্যুপ ও নুডলস তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। ইলিশ সংরক্ষণের এই প্রযুক্তি বিশ্বে প্রথম বলে দাবি করেছেন তিনি।ইলিশ মাছকে প্রক্রিয়াজাত করে এর মূল্যমান বৃদ্ধি করতে প্রায় দুই বছর ধরে গবেষণা করেছেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক নওশাদ আলম। গত মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগের গবেষণাগারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইলিশ অধিক আমিষ ও অধিক চর্বির মাছ। কিন্তু ইলিশের চর্বি মোটেও ক্ষতিকর নয়। চর্বিতে বিদ্যমান ওমেগা-৩ নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়, শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।নওশাদ আলম জানালেন, এক হাজার টাকা দামের একটি ইলিশ থেকে ছোট আকৃতির প্রায় ২০০ কিউব তৈরি করা সম্ভব। প্রতিটি কিউবের বাজারমূল্য ২০ টাকা। একটি কিউব দিয়ে ইলিশের হুবহু স্বাদের এক-দুজনের জন্য স্যুপ তৈরি করা সম্ভব। ইলিশের স্বাদ অপরিবর্তিত রেখে কিউবগুলোকে রেফ্রিজারেটরে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। তা ছাড়া ইলিশ দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নুডলস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বাজারে সচরাচর যে নুডলস পাওয়া যায়, তার থেকে হয়তো কিছুটা দাম বেশি পড়বে। তবে খুবই সাশ্রয়ী দামে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশের নুডলসও বাজারজাত করা সম্ভব হবে।নওশাদ আলম বলেন, ইলিশের ফ্যাটি অ্যাসিড বাতাসে সহজেই জারিত হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত পার-অক্সাইড তৈরি করে। এ কারণে ইলিশকে সংরক্ষণ করা যায় না বা ইলিশের শুঁটকিতৈরি করা সম্ভব হয় না। সারা বছর ইলিশকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তিনি কিউব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। | 341,774 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১১:৫১ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১১:৫৩ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | সেভিয়ার বিপক্ষে মধুর বদলা বার্সার | http://www.prothom-alo.com/sports/article/784303 | লা লিগায় টানা ৩৪ জয়। অপরাজিত থাকার স্প্যানিশ রেকর্ডের অংশীদার, কিন্তু তাতেও লুইস এনরিকের কিছুই এসে যায় না। লিগ শিরোপা জয় ছাড়া বার্সেলোনা কোচের যে আর কোনো কিছুতেই আনন্দ নেই।গত আট মৌসুমে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপাটা দৃষ্টির নাগালেই আছে বার্সেলোনার। গত রাতে সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে লা লিগায় দুই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো ও রিয়ালের চেয়ে যথাক্রমে ৮ ও ১২ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে তারা। শিরোপার স্বপ্ন তো দেখাই যায়!সেভিয়ার বিপক্ষে গতকাল ছিল বার্সেলোনার বদলা নেওয়ার ম্যাচ। কিন্তু ম্যাচটা সহজ হয়নি মেসির দলের জন্য। প্রথমেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ায় সমর্থকেরা পড়ে গিয়েছিলেন শঙ্কার মধ্যে। তবে কী সেভিয়ার বিপক্ষে অক্টোবর-দুঃখেরই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে?শঙ্কার মধ্যেই সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান লিওনেল মেসি। দারুণ এক ফ্রি-কিকে সমতা ফেরানোর পর, জেরার্ড পিকের গোলে বদলা নেওয়ার মিশনটা দারুণভাবেই সম্পন্ন হয় বার্সেলোনার। ম্যাচের ২০ মিনিটের সময় সেভিয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ভিতালো।বার্সেলোনার খেলা যে খুব ভালো হয়েছে, এ কথা কিন্তু বলা যাবে না। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে ছয়টি প্রতিযোগিতায় ৪৬টি ম্যাচ খেলা বার্সার খেলায় কাল ক্লান্তির ছাপটা ছিল স্পষ্টই। কিন্তু তারপরেও সেভিয়ার বিপক্ষে প্রথম থেকেই প্রাধান্যটা ধরে রেখেছিল তারা। খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় পরপর দুবার ক্রসবার-দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়ালে এগিয়ে যেতে পারত তারা। প্রথমে মেসির কর্নার সেভিয়া গোলরক্ষকের হাতে লেগে ক্রসবারে লাগে। পরের বার ফিরতি বলে সুয়ারেজের শটেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় ওই ক্রসবারই।ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় খেলার ধারার বিপরীতেই গোল খেয়ে যায় বার্সেলোনা। একটি অফসাইড ফাঁদ ভেঙে মাইকেল-ক্রন ডেহলি বল বাড়ান বেনোইতকে। বেনোইত বলটি ভিতালোকে দিলে তিনি কোনাকুনি শটে বার্সা গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোকে পরাস্ত করেন।খেলায় ফিরতে অবশ্য খুব একটা বেশি সময় নেয়নি বার্সেলোনা। ৩১ মিনিটেই মেসির ফ্রিকিকে সমতায় ফেরে তারা। সেভিয়ার আদিল রামি ডি বক্সের বাইরে সুয়ারেজকে ফেলে দিলে রেফারি ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান। মেসি বাঁ পায়ের চমৎকার এক শটে তা পরিণত করেন গোলে।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মেসি-সুয়ারেজ নিজেদের মধ্যে পাস খেললেও গোলটি করেন পিকে। মেসির কাছ থেকে বল নিয়ে সুয়ারেজ সেভিয়া ডিফেন্ডারদের মধ্য দিয়ে বলটি সুবিধাজনক জায়গায় ঠেলে দিলে, তা থেকে গোল করেন পিকে।৫১ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আনতে পারত সেভিয়া। কিন্তু এ যাত্রায় বার্সেলোনার ত্রাণকর্তা হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক ব্রাভো। গামেইরোর শটটি তিনি ফিরিয়ে দেন দারুণ দক্ষতায়। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেজ। নেইমার ব্যর্থ হন খেলার একেবারে অন্তিম মুহূর্তে। ব্যবধান না বাড়লেও শেষ পর্যন্ত জয়ে পুরো পয়েন্ট পাওয়ার স্বস্তিটাই ছিল বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় অর্জন।ম্যাচ শেষে ৩৪ ম্যাচে দলের অপরাজিত থাকার কথাটি মনে করিয়ে দিতেই অকপট এনরিকে, ‘দেখুন, এসব রেকর্ড আমার মধ্যে কোনো আলোড়ন তৈরি করে না। এসব নিয়ে আমি ভাবিও না। এসব রেকর্ড আমার ভালো লাগে তখনই, যখন আমরা শিরোপা জিতি। শিরোপা না জিততে পারলে এসব রেকর্ডের কোনো মূল্য নেই।’তবে কালকের জয়ে শিরোপার লড়াইটা অনেকটা সহজ হয়ে যাওয়াতে স্বস্তি কিন্তু ছিল এনরিকের কণ্ঠে, ‘মৌসুমের প্রথম দিন থেকেই আমরা শিরোপার কথা বলেছি, শিরোপার স্বপ্ন দেখেছি। এটাকেই মূল লক্ষ্য করেছিলাম। এখন আমরা শিরোপা জয়ের পথে অনেকটাই ভালো অবস্থানে আছি। এখন কেবল আমাদের প্রয়োজনীয় পয়েন্টগুলো তুলে নিতে হবে।’ সূত্র: এএফপি। | 206,137 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১২:৪৫ | ২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৩:৪৩ | টেলিভিশন | null | দুই দশক পর ধারাবাহিকে শাহিন খান | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/692038 | দুই দশক পর আবারও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করলেন শাহিন খান। এই ধারাবাহিক নাটকটির নাম ‘সাতটি তারার তিমির’। ধারাবাহিক নাটকটির ১৮৬ পর্ব থেকে দেখা যাবে তাঁকে। এ নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন অপর্ণার (জয়িতা মহলানবিশ) স্বামীর চরিত্রে। এটিএন বাংলায় নিয়মিত দেখানো হচ্ছে ধারাবাহিকটি।শাহিন খান ধারাবাহিক নাটকে শেষ অভিনয় করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। বিটিভিতে প্রচারিত ওই ধারাবাহিক নাটকের নাম ‘মাটির মায়া’। দুই বছর পর তিনি চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফিরে আসেন ২০০৯ সালে।চাকরি আর নিজের ব্যস্ততার কারণে মঞ্চ কিংবা টিভির কোনো ধারাবাহিকে কাজ করেননি শাহিন খান। অবশ্য, চাকরি থেকে সময় বের করে অভিনয় করেছেন চারটি এক ঘণ্টার নাটকে। আর দীর্ঘ ২১ বছর পর আবারও ‘সাতটি তারার তিমির’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে কোনো ধারাবাহিক নাটকের অভিনয়ে ফিরলেন তিনি।আজ রোববার সকালে মুঠোফোনে শাহিন খান বলেন, ‘এই দীর্ঘ ধারাবাহিকটি তৈরি করছেন আফসানা মিমি। তাঁর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব প্রায় ২৫ বছরের। ধারাবাহিকটিতে কাজ করার জন্য মিমি আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। বন্ধুর অনুরোধেই কাজটি করছি।’শুটিং প্রসঙ্গে শাহিন খান বলেন, ‘গত সপ্তাহের শুক্রবার আর শনিবার শুটিং করেছি। এখন তো মনে হচ্ছে, কাজটা আমাকে আরও অনেক দিন করতে হবে।’ | 176,846 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৬:৪৯ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৬:৫৩ | শেয়ারবাজার | 0 | সূচক ও লেনদেন কমেছে দুই বাজারে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/144787 | গতকালের ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সূচক ও লেনদেনে নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে সূচক কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেন কমেছে দুই বাজারে।ডিএসইতে সূচক কমেছে ৩৪ পয়েন্টপ্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। এরপর একবার সূচক সামান্য বাড়লেও আবারও নিম্নমুখী হয় সূচক, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।ডিএসইতে আজ ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।ডিএসইতে আজ ৪৯০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ১১৩ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৬০৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।সিএসইতে সূচক কমেছে ১১৬ পয়েন্টডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ১১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে।সিএসইতে আজ ২২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৯টির দাম কমেছে। বেড়েছে ৩০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।সিএসইতে আজ ৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ১০ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়।ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে স্কয়ার ফার্মাডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে স্কয়ার ফার্মা। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক, বিএসসিসিএল, গ্রামীণফোন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাকটিভ ফাইন, পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্স, যমুনা অয়েল, পদ্মা অয়েল প্রভৃতি লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। | 50,418 |
নজরুল ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩৯ | ১৬ এপ্রিল ২০১৬, ০২:৩৩ | আইন ও বিচার | null | নাজিমকেও খুন করেছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/830812 | অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিম উদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ১০ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডও ঘটিয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।শুধু নাজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ড নয়, গত এক বছরে চারজন ব্লগার, প্রকাশক হত্যা এবং তিনজন লেখক-প্রকাশকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত প্রকৃত ব্যক্তিরাও গ্রেপ্তার হয়নি। তবে মামলাগুলোর তদন্তকারী সংস্থা বলছে, তদন্তে দৃশ্যমান কিছু না থাকলেও অগ্রগতি আছে। এসব হত্যাও ঘটিয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।নাজিম উদ্দিন সান্ধ্যকালীন শাখার ছাত্র ছিলেন। ৬ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে গেণ্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারে একরামপুর মোড়ে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে তাঁকে হত্যা করে। হত্যার পর তারা দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত করছে সূত্রাপুর থানার পুলিশ। ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।নাজিম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর চন্দ্র সূত্রধর গতকাল শুক্রবার বলেন, নাজিম ফেসবুকে যেসব লেখালেখি করতেন, সেগুলো ধরেই এখন তদন্ত এগোচ্ছে। এ পর্যন্ত ঢাকা ও সিলেটের ১৫-২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নাজিমের বন্ধু, ঘনিষ্ঠজন, যে বাড়িতে মেসে থাকতেন সেই বাড়ির লোকজনও রয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মামলায় এখনো কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যার ধরন দেখে এখন পর্যন্ত তাঁদের ধারণা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কোনো গ্রুপের হাতে নাজিম উদ্দিন খুন হয়েছেন। ছায়া তদন্তে এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যও মিলেছে। ওই গোষ্ঠীটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত নাজিম উদ্দিনসহ সাতজন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ব্লগার, লেখক ও প্রকাশক খুন হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার বিচার হয়েছে। এ মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, একজনকে যাবজ্জীবন এবং সংগঠনটির প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালত। আর তেজগাঁওয়ে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এই হত্যার পরিকল্পনাকারী ‘বড় ভাই’কে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়, প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যা মামলায় প্রকৃত খুনিরা গ্রেপ্তার হয়নি। সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। লালমাটিয়ায় প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ চৌধুরী, দুই লেখক-ব্লগার সুদীপ কুমার রায় বর্মন (রণদীপম বসু নামে লেখেন) ও তারেক রহিমের ওপর হামলার মামলায়ও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশের বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তরা অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা এবং তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। ডিবি এই মামলায় এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, এই মামলায় তাঁরা সাতজনকে শনাক্ত করেছেন। তবে কারাগারে থাকা আটজনের বিরুদ্ধে ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।পুলিশ তদন্ত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ছেলের খুনিরা ধরা না পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়।প্রকাশক ফয়সল আরেফিনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানেন না। | 220,662 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:১৬ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:১২ | সরকার,পুলিশ,নিরাপত্তা,বিতর্ক | 0 | প্রাণনাশের হুমকিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের খরচ কে দেবে? | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1580521 | গুরুত্বপূর্ণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের দৈনন্দিন ব্যয় কে বহন করবে তা এখনো স্পষ্ট করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। ২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি পরিবীক্ষণ শাখা থেকে জারি করা এক চিঠিতে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। এ চিঠির সূত্রপাত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের একটি সাক্ষাৎকার।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ ইলাহীর সই করা চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকিপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের দৈনন্দিন থাকা খাওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দায় হিসেবে পরিগণিত হবে কি না তা যাচাই করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে বলা হয়। চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হয়।‘আমার জীবনটা জেলখানার মতো’—বলেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনি মারা যান চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি। সেদিনই ‘আমার জীবনটা জেলখানার মতো’ শিরোনামে একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয় সংবাদমাধ্যমে। এই সাক্ষাৎকারে নিজের আয়ের উৎস নিয়ে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বলেছিলেন- ‘আমার যত সঞ্চয় ছিল, এই ছয় বছরে সব শেষ। গত মাসে উত্তরায় আমার যে তিন কাঠা জমি ছিল, সেটাও বিক্রি করে দিয়েছি। যেহেতু আমরা অনেক লোক একসঙ্গে থাকি, ছয়জন পুলিশ, ওদের দেখাশোনা করা, খাওয়াদাওয়া করতে বাবুর্চি লাগে। আমরা বাবা-ছেলে দুইটা রুমে থাকি। পুলিশ সদস্যরা থাকে ড্রয়িংরুমে। আমি কোনোভাবে ৩৫ হাজার টাকা ঘরভাড়া দিয়ে চলছি। সবকিছুর বিল আছে। আমাদের সবার জন্য প্রতিদিন কাঁচাবাজারই লাগে এক হাজার টাকার। মাসে সব মিলিয়ে দেড় লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। গান গেয়ে এক কোটি টাকা জমিয়েছিলাম। ছয় বছরে জমানো টাকা শেষ। সম্মানের সঙ্গে যাতে বাঁচতে পারি, তাই জমিটাও বিক্রি করে দিয়েছি, যেন কারও কাছে হাত পাততে না হয়।’চিঠিতে সাক্ষাৎকারের এই অংশটুকু তুলে ধরে বলা হয়—সাক্ষাৎকারটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের থাকা খাওয়ার বিষয়টি তিনি নিজে বহন করতেন।আজ রোববার দুপুরে টেলিফোনে সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ ইলাহী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে কোনো আপডেট বা অগ্রগতি জানতে পারিনি। চিঠিটি খুব বেশি দিন আগেও পাঠানো হয়নি। জননিরাপত্তা বিভাগে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য শীঘ্রই আবার তাগিদ দেব। আমরাও ক্লিয়ার না, আসলে এই দায়টা কার।’তবে বাড়িতে সরকার থেকে পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়া ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. এম এ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই কমিটির সূত্রে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করার ফলে বৈশ্বিক সমর্থন পাই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের তালিকা প্রকাশের পর আমার বাড়িতে হামলা হয়। তখন বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার পক্ষ থেকেই আমার প্রাণনাশের হুমকির উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়। ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত আমার বাড়িতে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন। এই সদস্যদের পেছনে এক টাকা খরচেরও বাধ্যবাধকতা নেই। বর্তমানে ছয়জন সদস্য রাতদিন দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝে মাঝে দায়িত্বরত পুলিশের সংখ্যা নয়জনও ছিল। এই সদস্যদের জন্য খাবার নিয়ে গাড়ি আসে। শিফট শেষ হলে একদল চলে যান, আরেক দল আসেন। বাড়িতে কেউ থাকলে চা বা অন্য কিছু খাওয়ানোর যে বিষয় তা আমার নিজের ইচ্ছা। এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’ডা. এম এ হাসান বলেন, যে ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য এই পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে ওই ব্যক্তিকেই যদি তার খরচ বহন করতে হয়, তবে তা হবে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (প্রোটেকশন) হামিদা পারভীন পিপিএম প্রথম আলোকে বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের দায় কেন ওই বিশিষ্ট ব্যক্তি বহন করবেন? সরকার থেকে পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়, এই সদস্যদের খরচ সরকার বহন করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক অনুশাসনে হাউজগার্ড হিসেবে এই সদস্যদের জন্য একটি কক্ষের বা গার্ডরুম শুধু ওই ব্যক্তি ব্যবস্থা করবেন বলে বলা হয়েছে। | 391,391 |
অনলাইন প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৪:০৭ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৪:০৮ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | গুয়াংজুকে ফুটবল শেখাল বায়ার্ন | http://www.prothom-alo.com/sports/article/102076 | ফ্রাঙ্ক রিবেরি, মারিও মানজুকিচ ও মারিও গোটশের পা থেকে আসা ৩ গোলেই বিশ্ব ক্লাব কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। এশীয় চ্যাম্পিয়ন চীনের গুয়াংজু এভারগ্রান্ডের বিপক্ষে একপেশে ম্যাচে বাভারিয়ানদের জয় ৩-০ গোলের। মরক্কোর আগাদিরে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ও এশীয় চ্যাম্পিয়নদের এই খেলায় ইউরোপ-এশিয়ার ফুটবল মানের পার্থক্যটাই চোখে পড়েছে সবচেয়ে বেশি।খেলার প্রথমার্ধে অবশ্য ভালোই খেলেছিল গুয়াংজু। প্রথম গোলের দেখা পেতে বায়ার্নকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪০ মিনিট। ফ্রাঙ্ক রিবেরির গোলে এগিয়ে যাওয়ার চার মিনিট পরেই মারিও মানজুকিচের দেওয়া গোলে ২-০তে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ২ গোলে এগিয়ে থেকে প্রধমার্ধ শেষ করে বায়ার্ন।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মারিও গোটশে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন ৩-০ গোলে। ৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে মার্সেলো লিপ্পির গুয়াংজু অবশ্য বায়ার্নের জন্য কোনো হুমকি হয়ে দেখা দেয়নি। পুরো ম্যাচে চীনের দলটির একটা শটও লক্ষ্যে না থাকাই প্রমাণ করে পুরো খেলায় তারা ছিল কতটা অসহায়।গুয়াংজুর ব্যর্থতা যদি হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে না পারা, তাহলে বায়ার্নের ব্যর্থতা বলতে হবে ম্যাচে গোলের সংখ্যা আরও বাড়াতে না পারা। ৬০ মিনিটে গোটশে একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। রিবেরির একটি শট প্রতিহত হয় বারে লেগে। পুরো খেলায় রিবেরির শটটি ছাড়াও আরও তিনটি বল বারে লেগে প্রতিহত হয়। আরও বড় লজ্জার মুখোমুখি না হওয়ার জন্য গুয়াংজু নিজেদের সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারে। | 36,528 |
-1 | sports | খেলা | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৮ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০০ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | জয়ের পথ খুঁজছে ভারত | http://www.prothom-alo.com/sports/article/742219 | পার্থ আর ব্রিসবেন। দুটি ওয়ানডেতেই টস জিতেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দুটিতেই আগে ব্যাট করে ৩০০ ছাড়ানো রান তুলেছে ভারত। দুটিতেই তাড়া করে অনায়াস জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া-ভারত ওয়ানডে সিরিজটা চলছে এই গৎবাঁধা চিত্রনাট্য মেনে। আজ মেলবোর্নে কি দেখা যাবে অন্য চিত্রনাট্য?ভারত অধিনায়ক ধোনি এবার সেই চেষ্টাটা করে দেখারই আভাস দিলেন, ‘দুটি কাজ করতে পারি আমরা। এক, আগে ব্যাট করে ৩৩০ রান তুলে ওদের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলা। দুই, আগে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে রান তাড়া করা। আমাদের বসে একটু ভাবতে হবে কোনটা আমাদের জন্য ভালো হয়।অবশ্য এর জন্য যে টস-ভাগ্যটাও ভালো থাকতে হবে সেটা বলেননি ধোনি। আগের দুটি ম্যাচে টস জিতেছেন বলেই যে আবারও জিতবেন সেই নিশ্চয়তা কোথায়?ওয়াকায় ৩০৯ করেছিল ভারত, গ্যাবায় ৩০৮। প্রথম ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৪ বল হাতে রেখে, দ্বিতীয়টি এক ওভার আগে। ৩৩০ তুলতে পারলে ম্যাচে জোর লড়াই হবে, ধোনির এ কথাটা তাই এ মুহূর্তে যৌক্তিকই মনে হচ্ছে। তবে কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান ও সাবেক ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার ঠিক এমনটি মনে করেন না। দ্বিতীয় ম্যাচটিতেও অস্ট্রেলিয়ার সহজ জয়ের পর গাভাস্কার বলেছেন, ‘আজ (শুক্রবার) মিডল অর্ডার ভালো খেললে আমরা আরও ২০-৩০ রান বেশি করতে পারতাম। তবে অস্ট্রেলিয়া যেভাবে ব্যাট করেছে, তাতে সেই রানও কম হয়ে যেত।’আগে ব্যাট করতে হোক, কিংবা রান তাড়া করা-কিছু নিয়েই মনে হয় না অস্ট্রেলিয়ার কোনো দুশ্চিন্তা আছে। টানা দুই জয়ে সিরিজ জয়ের পথেও অনেক দূর এগিয়ে গেছে স্টিভেন স্মিথের দল। প্রথম ম্যাচে খেলার পর গত ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছিলেন জশ হ্যাজলউড। অস্ট্রেলিয়া পেসারকে এবার সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতেও বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। আর আগের ম্যাচে তাঁর বদলে ডাক পাওয়া জন হ্যাস্টিংস আছেন আজকের ম্যাচেও। অবশ্য শেষ দুই ম্যাচের জন্য অস্ট্রেলিয়া নতুন করে দল ঘোষণা করবে আজকের ম্যাচের পর। এএফপি। | 193,061 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ মার্চ ২০১৪, ০০:৪৭ | ০৪ মার্চ ২০১৪, ০০:৪৯ | মহানগর | 0 | অ্যালামনাই ৮ মার্চ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/160228 | আগামী ৮ মার্চ শনিবার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দিনব্যাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অনুষ্ঠান হবে। অংশগ্রহণকারীদের ৫ মার্চের মধ্যে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। মোবাইল: ৯৩৬০৩০৪, ৯৩৪৮১৩১। বিজ্ঞপ্তি। টেলিফোন বিকলভূগর্ভস্থ কেব্ল কাটা যাওয়ায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কারওয়ান বাজার এলাকায় বিটিসিএলের প্রায় ২০০ টেলিফোন বিকল হয়েছে। বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেব্ল মেরামতের কাজ চলছে। বিজ্ঞপ্তি। | 55,776 |
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৫ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৫ | বিশাল বাংলা | null | তাঁরা খোশগল্প করেন, ক্লাস নেন ‘ভাড়াটে শিক্ষকেরা’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/639798 | রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দুই সহকারী শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে যান না। মাঝেমধ্যে গেলেও তাঁরা পাঠদান করেন না। তাঁরা বরং খোশগল্পে মেতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই শিক্ষকেরা একজন কলেজছাত্রীসহ দুজনকে প্রতি মাসে কিছু টাকা দেন। এর বিনিময়ে ওই দুজনই পাঠদান করান।বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯১২ সালে স্থাপিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯২ জন। শিক্ষকের পদ ছয়টি। এর মধ্যে দুটি শূন্য। অন্যরা হলেন: প্রধান শিক্ষক শাহিনা বেগম, সহকারী শিক্ষক সাবিনা আখতার, সুলতা কেরকেটা ও শাকিলা ইয়াছমিন। কিন্তু শাকিলা ২০১২ সালের জুন থেকে বিদ্যালয়ে আসেন না।সরেজমিনে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে দেখা যায়, অফিসকক্ষে প্রধান শিক্ষক শাহিনা, সহকারী শিক্ষক সাবিনা ও সুলতা কেরকেটা গল্প করছেন। পাশের কক্ষে শিশু ও প্রথম শ্রেণির ক্লাস একসঙ্গে নিচ্ছেন শাকিলা বেগম নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘আমি স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছি। প্রতিদিন প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নিই। আমি শিক্ষক নই। এখানে পাঠদানের বিনিময়ে বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক মিলে মাসে আমাকে ১ হাজার ২০০ টাকা দেন।’বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে, প্রধান শিক্ষক ও দুজন সহকারী শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। মাঝেমধ্যে এলেও অফিসকক্ষে বসে থাকেন। পড়ান না। এ ছাড়া তাদের প্রায়ই অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন বলেও অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি বিদ্যালয়কক্ষের দুটি বৈদ্যুতিক ফ্যান খুলে নিয়ে গেছেন। বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত জানালা ও বেঞ্চের লোহা বিক্রি করে দিয়েছেন। ইউএনওর কাছে ৬ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য হাবিব লোহানী, তসরিফা বেগম, অভিভাবক মিন্টু লোহানী ও লোহানীপাড়া ইউপি সদস্য শামীম লোহানী।কমিটির সভাপতি আলেক জান্ডার মণ্ডল অভিযোগ করেন, ‘ক্লাস নেওয়া হয় ভাড়া করা দুজনকে দিয়ে। বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক শাহিনা বলেন, ‘অফিশিয়াল কাজে ব্যস্ততার কারণে আমি ক্লাস নিতে পারি না। তবে অন্য শিক্ষকেরা ক্লাস নেন।’ ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ সম্পর্কে বলেন, ‘তিনজন শিক্ষকের দ্বারা দুই শিফটে ক্লাস নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় আমরা নিজেরা টাকা দিয়ে এ দুজনকে রেখেছি।’ বৈদ্যুতিক পাখা খুলে নেওয়াসহ অন্য অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, ‘পরিচালনা কমিটির একটি পক্ষ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।’সহকারী শিক্ষক সাবিনা আখতার ও সুলতা কেরকেটা দাবি করেন, তাঁরা নিয়মিত স্কুলে আসেন। প্রতিদিন ক্লাস নিয়ে কুলিয়ে উঠতে না পারায় টাকা দিয়ে দুজনকে রেখেছেন ক্লাস করাতে।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘বিদ্যালয়ে কোনো ভাড়াটে শিক্ষক রাখার নিয়ম নেই। নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে গত আগস্ট থেকে প্রধান শিক্ষক শাহিনার মাসিক বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পত্র দিয়েছি। অন্য শিক্ষকদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ | 171,587 |
মশিউল আলম | opinion | মতামত | ২৪ মার্চ ২০১৪, ০০:০১ | ২৪ মার্চ ২০১৪, ০০:০১ | মশিউল আলম,লেখকের কলাম,আন্তর্জাতিক,খোলা কলম | 0 | তালেবান কি ফিরে আসছে? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/175672 | আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান ও ন্যাটো সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময় যত এগিয়ে আসছে, তালেবানের সহিংস তৎপরতায় ততই বাড়তি উদ্যম লক্ষ করা যাচ্ছে। গত দুই-আড়াই মাসে অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অনেক মানুষকে হত্যা ও জখম করেছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে কাবুলের অন্যতম বিলাসবহুল হোটেল সেরেনায় চার কিশোর তালেবান যোদ্ধা ঢুকে পড়ে দুই শিশুসহ নয় ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে, গুরুতর জখম করেছে ছয়জনকে। নিহতদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশিসহ চারজন বিদেশি নাগরিক। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কান্দাহারে আরেক সন্ত্রাসী হামলায় তালেবানরা হত্যা করেছে তিনজনকে।কাবুলের সেরেনা হোটেলে নয় ব্যক্তিকে হত্যা করার দিনই জালালাবাদ শহরের কেন্দ্রে এক থানায় তালেবানরা ট্রাকবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হত্যা করেছে পুলিশের ১০ সদস্যসহ মোট ১৮ জনকে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের ১৪ জন। নিহতদের মধ্যে জেলার পুলিশ-প্রধানও আছেন। গভর্নরের বাসভবনের কাছে ওই থানায় তালেবান যোদ্ধারা আফগান পুলিশের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে তিন ঘণ্টা ধরে। তার এক দিন আগে ১৮ মার্চ উত্তর আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশের রাজধানী মায়মানা শহরের এক বাজারের কাছে পুলিশ ঘাঁটিতে রিকশায় করে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তালেবান যোদ্ধা। কিন্তু পুলিশ ঘাঁটিতে ঢুকতে পারার আগেই বাজারের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটালে সে নিজেসহ ১৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়, আহত হয় ২৩ জন। ফারিয়াব প্রদেশে তালেবানের তৎপরতা অপেক্ষাকৃত কম; আফগানিস্তানের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের মতো তালেবানের শক্ত ঘাঁটি সেখানে নেই। সেখানে তারা সরকারি ও ন্যাটো বাহিনীগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারে না; কিন্তু প্রচুর আত্মঘাতী হামলা চালায়। ২০১২ সালের অক্টোবরে মাত্র একজন আত্মঘাতী তালেবান যোদ্ধা ফারিয়াবের মায়মানারে এক মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ৪১ জন মুসল্লিকে হত্যা করে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কুনার প্রদেশে গাজি আবাদ এলাকায় এক সেনাচৌকির ওপর হামলা চালায় শত শত তালেবান যোদ্ধা। আফগান সরকারি সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের যুদ্ধ চলে চার ঘণ্টা ধরে। সেই যুদ্ধে তালেবানদের হাতে নিহত হন ২১ জন সরকারি সেনাসদস্য। গোলাগুলির পর থেকে সাতজন সেনাসদস্য নিখোঁজ আছেন। বলা হচ্ছে, তাঁদের কয়েকজনকে তালেবান যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গেছে আর বাকিরা পালিয়ে গেছেন।এ বছর শেষ হওয়ার আগেই মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় পুলিশ ও সামরিক বাহিনী নিজেরাই এখন দেশটির শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সক্ষম। বিদেশিদের আর প্রয়োজন নেই। গত ১৫ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আফগানিস্তানের পার্লামেন্টে চূড়ান্তভাবে বলে দিয়েছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ আমেরিকা তাদের সেনাবাহিনী ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে; কারণ আফগান সেনাবাহিনী এখনই দেশটির ৯৩ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা বছরের শেষ নাগাদ পুরো দেশের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, আফগান সামরিক বাহিনীর বর্তমান সদস্যসংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এ বছরের শেষ নাগাদ তা আরও ৬০ হাজার বাড়ার কথা। অন্যদিকে, ধারণা করা হয় যে আফগানিস্তানে তালেবান যোদ্ধার মোট সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ হাজার। আড়াই লাখের বেশি প্রশিক্ষিত সরকারি সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে মাত্র ১৫ হাজার তালেবান যোদ্ধা আদৌ পেরে উঠবে না—এ রকম ধারণাই প্রবল, এমনকি আফগান জনগণের মধ্যেও। তাই বিদেশি সেনাদের চলে যাওয়ার পক্ষেই আফগানিস্তানে জনমত প্রবল।তালেবান এটা ভালো করে জানে। তাই তারা যত বড় নয়, যত শক্তিশালী নয়, তার থেকে অনেক বেশি বড় ও শক্তিশালীরূপে নিজেদের তুলে ধরতে চায়। সম্ভবত সে কারণেই তারা তাদের আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে। বিদেশি সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর আফগান সরকারের জন্য তারা কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে, তার কিছু লক্ষণ যদি এখন থেকেই দেখাতে পারে, তাহলে সরকারের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে দর-কষাকষির সুবিধা হবে বলে তারা হয়তো ভাবছে। সে জন্য তারা সরকারি সশস্ত্র বাহিনী, বিদেশি সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশার নাগরিক এবং আফগান সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত তারা ৮৪ জন সরকারি সেনাসদস্যকে হত্যা করেছে। আর যদিও তারা দাবি করে যে বেসামরিক লোকজনের ওপর তারা আক্রমণ চালায় না, কিন্তু তাদের আত্মঘাতী হামলায় এবং সরকারি ও ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের মাঝখানে পড়ে বিপুলসংখ্যক নিরীহ বেসামরিক আফগান হতাহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক হিসাবে ২০১৩ সালে তালেবানদের হাতে নিহত হয়েছে প্রায় তিন হাজার বেসামরিক আফগান নাগরিক, আহত হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি। জাতিসংঘ বলছে, তালেবানদের হাতে বেসামরিক লোকজনের এই হতাহতের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।কিন্তু তালেবানের এই কৌশলের ফল তো তাদের জন্য খারাপও হতে পারে। তারা যদি একের পর এক হামলা চালিয়ে আফগানিস্তানজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, তাহলে তো আমেরিকান ও ন্যাটোর সেনাবাহিনীর সে দেশে থেকে যাওয়ার পক্ষে যুক্তিই জোরালো হবে। কারণ তালেবানের সহিংস তৎপরতা যতই বাড়বে, আফগান সরকারি বাহিনীগুলোর দুর্বলতাও ততই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আফগানিস্তানের জনগণেরও মনে হতে পারে, বিদেশি সেনারা চলে গেলে তাদের নিরাপত্তা বাড়বে না, বরং বিপন্ন হবে। বস্তুত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৪ সালের পরও কিছু আমেরিকান সৈন্য আফগানিস্তানে রেখে দিতে চান এই যুক্তিতেই। নভেম্বরে ন্যাটো বাহিনী চলে গেলে আফগানিস্তানের সঙ্গে তিনি একটা দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি করতে চান, যার ভিত্তিতে কিছু আমেরিকান সৈন্য আফগানিস্তানে থেকে যাবে। তালেবান ও আল-কায়েদার সম্ভাব্য বাড়াবাড়ির ক্ষেত্রে ওই মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীগুলোকে সহযোগিতা করবে। কিন্তু তাঁর এই প্রস্তাবে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই রাজি না হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ওবামা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পেন্টাগনকে আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।কিন্তু ওবামা প্রশাসনের এই অবস্থানই যে চূড়ান্ত, কিংবা এই দৃশ্যমান অবস্থানের আড়ালে আফগানিস্তানে কিছু ‘অবশিষ্ট’ মার্কিন বা ন্যাটো সৈন্য রেখে দেওয়ার তৎপরতা যে চলছে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। গত ১২ মার্চ মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সভায় আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেছেন, ন্যাটো বাহিনী ১৩ বছর ধরে আফগানিস্তানে যা অর্জন করেছে, সেখান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে সেই অর্জন আবার দ্রুতই হারিয়ে যেতে পারে। তাঁর মতে, আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো বা আমেরিকান সব সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলে শুধু তালেবানের নয়, আল-কায়েদারও হাত শক্তিশালী হবে। সে জন্য তিনি মনে করেন, ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে আট থেকে ১২ হাজার ন্যাটোর সৈন্য থেকে যাওয়া উচিত, যাঁদের অধিকাংশই হবেন আমেরিকান। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদবিরোধী মিশনের অংশ হিসেবে কিছু আমেরিকান স্পেশাল অপারেশন্স ফোর্সও রাখা প্রয়োজন। আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন—সিনেট কমিটির ওই সভায় এক সিনেটর এমন মন্তব্য করলে জেনারেল ডানফোর্ড তাঁকে বলেন, আমরা যদি আফগানদের হাতেই সব দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে আসি, তাহলে ভবিষ্যতে সেখানে আমাদের আরও বড় যুদ্ধের জন্য যেতে হবে।জেনারেল ডানফোর্ডের এই অবস্থানের সঙ্গে আফগান তালেবানের সাম্প্রতিক নতুন উদ্যমের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা বলা কঠিন। তবে আফগান সরকারকে এড়িয়ে তালেবানের সঙ্গে মার্কিনিদের সংলাপের যে উদ্যোগ দেখা গিয়েছিল, এই সুবাদে সে কথা স্মরণে আসে।মশিউল আলম: সাংবাদিক। | 60,771 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:২১ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:২২ | গবেষণা,জীবনধারা | 0 | ভ্রমরের অনুকরণে রোবট | http://www.prothom-alo.com/technology/article/48794 | চঞ্চল বাতাসের মধ্য দিয়ে উড়ে চলার সময়ও দারুণভাবে শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারে ভ্রমর। ছোট্ট প্রাণীটির এই অসাধারণ দক্ষতা নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁরা এই ভ্রমরের অনুকরণে রোবটযান তৈরি করবেন, যা খারাপ আবহাওয়ায়ও অনায়াসে উড়তে পারবে। এলোমেলো বাতাসে ভ্রমরের উড়ন্ত ভ্রমরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে গবেষকেরা দেখতে পান, ভারসাম্য রাখতে প্রাণীটি গতি কমিয়ে দেয়। এতে তারা গতিপথ ঠিক রাখতে বেশি শক্তি ব্যয় করার সুযোগ পায়। গবেষক দলের প্রধান শ্রীধর রবি বলেন, চরম প্রতিকূল আবহাওয়ায় ভ্রমরের ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়টি আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাণীটির অনুকরণে তাঁরা একটি ছোট আকারের উড়ন্ত রোবটের নকশা তৈরির চেষ্টা করছেন। বিবিসি। | 18,110 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ আগস্ট ২০১৩, ০৩:১১ | ২৪ আগস্ট ২০১৩, ০৩:১২ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/41565 | নারায়ণগঞ্জে প্রীতম গ্রুপ নিট ওয়ার্ল্ড নামে একটি কারখানায় বিনা নোটিশে ডাইং শাখা বন্ধ করার প্রতিবাদে ও দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শ্রমিকেরা। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শুক্রবার সকালে এ মানববন্ধন করা হয়।মানববন্ধনে শ্রমিকেরা বলেন, ঈদুল ফিতরে ৫০ শতাংশ ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও ২৫ শতাংশ দেওয়া হয়। শ্রমিকেরা ছুটি শেষে ১৭ আগস্ট কর্মস্থলে যোগ দিতে এসে জানতে পান, ডাইং শাখা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরে শ্রমিকেরা মালিক পক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা দেখা করে তাঁদের দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান। কিন্তু মালিক পক্ষ বেতন পরিশোধে টালবাহানা শুরু করে। | 11,509 |
অনলাইন ডেস্ক | life-style | জীবনযাপন | ০৯ মার্চ ২০১৬, ২২:২০ | ০৯ মার্চ ২০১৬, ২২:২৩ | পরামর্শ | null | বেশি ঘুমালে বেশি বুদ্ধি! | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/793813 | পর্যাপ্ত ঘুম শুধু মানুষের ক্লান্তিকেই কমায় না, বরং মানুষকে আরও ‘বুদ্ধিমান’ দেখায়। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট এনডি৶উসের কয়েকজন গবেষক তাঁদের নতুন এক গবেষণায় এই তথ্য পেয়েছেন। খবর ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্ট অনলাইনের।এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজিতে। এই গবেষক দলের প্রধান সিন টালামাস বলেন, মানুষের মুখের অভিব্যক্তি ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কিত।গবেষকেরা এক বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ১৯০ জন শিশুসহ মোট দুই শতাধিক মানুষের চোখের পাতা খোলা ও মুখের রেখা পরিমাপ করেন। তারপর তাঁরা চেহারার আকর্ষণ ও বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ করেন। এরপর গবেষকেরা দেখেন, ভ্রুকুটি করা ও ঘুম ঘুম চোখের মানুষ কম বুদ্ধিসম্পন্ন।সুইডেনের ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে করা এ গবেষণায় গবেষকেরা সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পরিপূর্ণ ঘুম ও ঘুমহীন অবস্থায় ছবি তোলেন। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, তাদের মধ্যে যারা কম ঘুমিয়েছে, তাদের বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। | 208,931 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০২ | ২১ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০৪ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | বাংলাদেশি আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/127936 | ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্ত থেকে গতকাল সোমবার ভোরে মো. মোস্তফা (৩২) নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। বিজিবি সূত্র জানায়, উপজেলার হরিপুর ভদ্রেশ্বরী গ্রামের শুকুর মোহামঞ্চদের ছেলে মোস্তফা ভোরে ভারতে প্রবেশ করেন। বিএসএফের কুকরাদহ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে ধরে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | 45,182 |
মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | education | শিক্ষা | ২৬ আগস্ট ২০১৩, ০১:০১ | ২৬ আগস্ট ২০১৩, ০১:১২ | পড়াশোনা | 0 | জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি | http://www.prothom-alo.com/education/article/42043 | বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা ১ম পত্র থেকে কিছু বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।প্রার্থী২৫।‘স্যাঁতসেঁতে ভেজা’ ঘর দিয়ে কবি কী ফুটিয়ে তুলেছেন?ক. শীতার্ত মানুষের করুণ অবস্থা খ. অসহায়দের অবস্থাগ. কবির অবস্থা ঘ. মানুষের অবস্থাসঠিক উত্তর: ক. শীতার্ত মানুষের করুণ অবস্থা২৬।‘প্রার্থী’ কবিতার মূল ভাববস্তু কোনটি?ক. সূর্যের বন্দনা খ. সূর্যকে গরিবের আশ্রয় হবার আহ্বানগ. উলঙ্গ ছেলেকে আশ্রয়ের আহ্বানঘ. দরিদ্র মানুষদের সহযোগিতার আহ্বানসঠিক উত্তর: ঘ. দরিদ্র মানুষদের সহযোগিতার আহ্বান২৭। কবি কেন জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড হওয়ার প্রার্থনা করছেন?ক. কৃষকদের দুরবস্থা দেখে খ. রাস্তার উলঙ্গ ছেলের দুর্দশা দেখেগ. বস্ত্রহীন মানুষের কষ্টকে অনুধাবন করে ঘ. মানুষকে দেখেসঠিক উত্তর: গ. বস্ত্রহীন মানুষের কষ্টকে অনুধাবন করে২৮।‘প্রার্থী’ কবিতায় উলঙ্গ ছেলে কাদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে?ক. ভবঘুরে মানুষদের খ. অত্যাচারী জমিদারদেরগ. কোটিপতিদের ঘ. হাজারো সহায়-সম্বলহীন মানুষেরসঠিক উত্তর: ঘ. হাজারো সহায়-সম্বলহীন মানুষের২৯। ভিজে ভিজে ভাবযুক্ত অবস্থার পরিচয় পাওয়া যায় এমন শব্দটি হচ্ছে—ক. হিমাশীতল খ. স্যাঁতসেঁতে গ. তুষারের মতো ঘ. আড়ষ্টতাসঠিক উত্তর: খ. স্যাঁতসেঁতে।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবেআগামীকাল | 12,039 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৫ আগস্ট ২০১৫, ১৪:৩৬ | ১৫ আগস্ট ২০১৫, ১৫:৪৩ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | হেরাথের হাতে ‘খুন’ ভারত | http://www.prothom-alo.com/sports/article/603322 | দিনেশ চান্ডিমাল বীরের মতো এক ইনিংস খেলে মোড় ঘুরিয়েছিলেন গল টেস্টের। রঙ্গনা হেরাথ আজ তাঁর ঘূর্ণির ক্যারিশমায় গলে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন লঙ্কান গৌরব। প্রথম দুই দিন শেষেই যে টেস্টে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে অনেকে ভারতের নাম বলে দিয়েছিলেন, সেই টেস্টেই কি না শেষ অবধি জয়ী শ্রীলঙ্কা! চান্ডিমাল আর হেরাথই তো নায়ক লঙ্কানদের অসাধারণ এই জয়ের।তৃতীয় দিনে চান্ডিমালের ১৬২ রানের অনবদ্য ইনিংসের ওপর ভর করেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭৫ রান তুলতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। যে সংগ্রহ লঙ্কানদের এনে দেয় ১৭৫ রানের লিড। জয়ের জন্য ১৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নেমেই হেরাথ নামের এক বাঁ হাতি স্পিনারের ঘূর্ণি জাদুতে এলোমেলো ভারতীয় ব্যাটিং। শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি কিংবা আজিঙ্কা রাহানে, হেরাথের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারলেন না কেউই। চতুর্থ ইনিংসে গলে ব্যাট করাটা কঠিন হবে—এটা জানা ছিলই, কিন্তু ভারতীয় ব্যাটিং যে চাপের মুখে এমন তাসের ঘর হয়ে উঠবে, সেটা বোধ হয় অভাবনীয়ই ছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের।দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১১২ রানেই। ৬৩ রানের হার। সর্বোচ্চ ৩৬ এসেছে রাহানের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ শিখর ধাওয়ানের। অমিত মিশ্র করেছেন ১৫, ইশান্ত শর্মা ১০। বাকি সাত ব্যাটসম্যানের মিলিত সংগ্রহ ১৯। অতিরিক্ত খাত থেকে এসেছে ৪। হেরাথের ৭ উইকেটের পাশাপাশি থারিন্দু কৌশলও কম যান না। ৪৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেওয়ার অন্যতম অনুষঙ্গ তিনিও।তৃতীয় দিন বিকেলেই ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে লোকেশ রাহুলের উইকেটটি হারিয়ে বসেছিল ভারত। চতুর্থ দিন সকালে নিয়মিত বিরতিতেই আসা-যাওয়া চলল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। হেরাথের বলে একে একে ফিরেছেন রাহুল, রোহিত, ইশান্ত, রাহানে, ঋদ্ধিমান, হরভজন ও অশ্বিন। কুশলের শিকার ধাওয়ান, কোহলি আর অমিত মিশ্র। এই দুই স্পিনারকে নিয়ে ম্যাচের প্রথম দিনই টেলিভিশন ধারাভাষ্যে উচ্চ ধারণা পোষণ করেছিলেন ভারতীয় গ্রেট সুনীল গাভাস্কার। শঙ্কা ছিল তাঁর চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া নিয়েও। গলে গাভাস্কারের সব শঙ্কাকে লঙ্কানরা যে এভাবে সত্যে পরিণত করবেন—সেটা কী তিনি ভেবেছিলেন? সূত্র: সনি সিক্স, এএফপি। | 160,171 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১২:৩৬ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১২:৩৮ | খবরাখবর | 0 | গুড টেকনোলজি কিনে নিচ্ছে ব্ল্যাকবেরি | http://www.prothom-alo.com/technology/article/623926 | যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল নিরাপত্তা সফটওয়্যার সেবাদাতা গুড টেকনোলজি করপোরেশনকে কিনে নিচ্ছে কানাডার মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকবেরি। গত শুক্রবার সাড়ে ৪২ কোটি মার্কিন ডলারে মার্কিন এই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানটিকে কেনার ঘোষণা দিয়েছে ব্ল্যাকবেরি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চালিত স্মার্টফোন ব্যবস্থাপনায় করপোরেট গ্রাহকদের সহযোগিতা করতে ব্ল্যাকবেরিকে এই উদ্যোগ নিতে হয়েছে।বাজার বিশ্লেষকেদের মতে, বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবসার চাইতে এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের ডিভাইস ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ব্ল্যাকবেরি। গুড টেকনোলজিকে কিনে নেওয়ার ফলে ব্ল্যাকবেরির জন্য নতুন গ্রাহক ধরা সহজ হবে। বর্তমানে গুড টেকনোলজির যত গ্রাহক রয়েছে তার অর্ধেকের বেশি অ্যাপলের পণ্য ব্যবহারকারী। | 166,242 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ২০:৫৫ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ২১:০১ | রাজনীতি | null | মাহবুবকে আটকের প্রতিবাদে বরগুনায় কাল বিএনপির হরতাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/117667 | বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেনকে আটকের প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার তাঁর নিজ জেলা বরগুনায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি।আজ মঙ্গলবার বিকেলে বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহাবুবুল আলম ফারুক মোল্লা এ ঘোষণা দেন। মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা ‘প্রথম আলো’কে বলেন, অবিলম্বে খন্দকার মাহবুব হোসেনকে মুক্তি দেওয়া না হলে পরবর্তী সময় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। দুপুরে বক্তব্য দিয়ে বের হওয়ার সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ওই বক্তব্যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ও সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। | 41,555 |
বাসস, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মার্চ ২০১৮, ২০:৪৮ | ০৮ মার্চ ২০১৮, ২০:৫১ | সরকার,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | null | নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1446176 | অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন নারীর জন্য অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ নারীদের আত্মবিশ্বাস এবং মর্যাদা নিয়ে চলে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই মেয়েদের বসে থাকলে চলবে না, নিজেদেরও কাজ করতে হবে, লেখাপড়া শিখতে হবে এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।নারীর অধিকার সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর দর্শন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নারীর অধিকার নারীর অধিকার নিয়ে যতই স্লোগান দিই, যতই বক্তব্য দিই, অধিকার তো আর হেঁটে আসবে না।’ তিনি বলেন, জাতির পিতা বলতেন, ‘একটা মেয়ে যদি নিজে অর্থ উপার্জন করতে পারে এবং তার হাতে যদি কিছু টাকা থাকে বা আঁচলে যদি কামাই করে ১০ টাকা বেঁধে নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে সমাজে-সংসারে এমনিতেই তাঁর অবস্থানটা হবে। কেউ অবহেলা করতে পারবে না।’মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর এবং ইউএন রিপ্রেজেনটেটিভ ইন বাংলাদেশ মিয়া সেপো। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, আমন্ত্রিত অতিথি, নারী উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নারীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী পাঁচজন জয়িতার হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন। পদকপ্রাপ্ত নারীরা হচ্ছেন অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনে ঢাকা বিভাগের দৃষ্টি, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় খুলনা বিভাগের মোসাম্মাৎ নাছিমা খাতুন, সফল জননী ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির হলা ক্রা প্রু মারমা, নির্যাতনের বিভীষিকা পেছনে ফেলে নতুনভাবে জীবন শুরু করায় ঢাকা বিভাগের ফিরোজা খাতুন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় রাজশাহী বিভাগের আমেনা বেগম।শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজে যদি নারী পড়ে থাকে, তাহলে সেই সমাজ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। সে জন্যই নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করে তাঁদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া, কর্মক্ষেত্রসহ সব ক্ষেত্রেই তাঁদের বিচরণ যাতে নিশ্চিত হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য, আর সে কাজটাই আমরা করে অনেক দূর এগিয়ে গেছি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশে যা পারে না, বাংলাদেশের মেয়েরা তা পারে, সেটাও আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি। কাজেই এটাই চাই, আপনারা আমাদের বোনেরা একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবেন। তারপরও পরিবারের প্রতি যে দায়িত্ব, সেটাও যথাযথভাবে পালন করবেন। কারণ, কথাই তো আছে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে—এ কথাটাও যেন আমরা ভুলে না যাই।’ | 357,256 |
বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, বান্দরবান | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৩৩ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৩৩ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | পাঠক্রমে আদিবাসীদের নিয়ে অতিরিক্ত বিষয় সংযোজিত হচ্ছে না আগামী বছরও | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/325483 | তিন পার্বত্য জেলাসহ দেশে বসবাসরত আদিবাসীদের জীবনধারা সম্পর্কে অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠক্রমে অতিরিক্ত একটি বিষয় সংযোজন আগামী বছরেও হচ্ছে না। ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ভাষা ও সংস্কৃতি’ নামে অতিরিক্ত বিষয়ের ওপর প্রণীত খসড়া পাঠ্যবইয়ে মৌলিক কিছু ত্রুটি থাকায় ২০১৬ সালের আগে সংযোজন সম্ভব হচ্ছে না বলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা জানান।একইভাবে আগামী বছর থেকে বহুভাষিক শিক্ষাক্রম পদ্ধতিতে (এমএলই) প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান।এনসিটিবির গবেষণা শাখার কর্মকর্তারা বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০১৪) থেকে ষষ্ট ও সপ্তম শ্রেণিতে আদিবাসীদের জীবনধারা ও সংস্কৃতি নিয়ে অতিরিক্ত বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সংযোজন করার জন্য এনসিটিবি সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু যে লেখকদের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কাজটি শেষ করলেও তাঁদের কাজে কিছু মৌলিক ত্রুটি রয়েছে। এ জন্য এনসিটিবির বোর্ড সভায় তা অনুমোদন করা যায়নি।শিক্ষার্থীদের কাছে আদিবাসীদের জীবন ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য অতিরিক্ত বিষয়টি পাঠক্রমে সংযোজন করা হচ্ছে বলে এনসিটিবি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান।এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার বলেন, অতিরিক্ত বিষয়ে খসড়া পাঠ্যপুস্তকে পাওয়া ত্রুটিগুলো কোনো সরকারের পক্ষে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ জন্য সেগুলো অনুমোদন করা সম্ভব হয়নি। সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে আগামী বছরের জন্য নতুন খসড়া পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই ২০১৬ সালের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ করা হচ্ছে।এদিকে এমএলই পদ্ধতিতে আগামী শিক্ষাবছরে আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার ব্যাপারে এনসিটিবির গবেষকরা জানান, এখনো প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কাজ শেষ হয়নি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদিবাসী শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক থেকে ধাপে ধাপে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষার মাধ্যমে জাতীয় ভাষায় দক্ষতা অর্জন করানো হবে।এনসিটিবির এমএলই গবেষক মুর্শিদ আক্তার বলেন, কাজটি সহজ নয়, অত্যন্ত জটিল। পরীক্ষামূলকভাবে চালু করারও কোনো সুযোগ নেই। কারণ শিক্ষা নিয়ে কোনো শিশু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করা নৈতিকভাবে গ্রহনযোগ্য নয়। আবার কোথাও কোনো পর্যায়ে ভুল হলে শিশু শিক্ষার মতো ভালো উদ্যোগ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হবে। এতে পুরো উদ্যোগ ভেস্তে যাবে।তবে এনসিটিবির প্রাথমিক শিক্ষা কারিকুলামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, এমএলই কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাজেট প্রাপ্তিতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কাজও বিলম্বিত হচ্ছে। তবে জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার প্রস্ত্ততি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। | 95,198 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৫, ১৮:০০ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৫, ১৮:০০ | রাজনীতি | null | রোববার থেকে ৭২ ঘণ্টার হরতাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/438523 | আগামী রোববার সকাল ছয়টা থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোট।এদিকে আগামী সোমবার থেকে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।আজ শুক্রবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হরতালের ডাকার বিষয়টি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় উড়িয়ে দেওয়া ও তাঁকে গ্রেপ্তারের হুমকি, পুলিশকে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়া, অবরোধ চলাকালে ২১ নেতাকর্মীকে হত্যা, বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতার বাড়ি-গাড়িতে হামলা, সারা দেশে ১৫ হাজারের বেশি জোটের নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার, নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লাখের বেশি মিথ্যা মামলা এবং সরকারি এজেন্ট দিয়ে পেট্রলবোমা মেরে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে এ হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ হরতাল ডাকা হয়েছে, এমনটা দাবি করে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৭২ ঘণ্টার হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। | 111,024 |
বার্নার্ড হেইকেল | opinion | মতামত | ২৯ জুন ২০১৭, ০০:২২ | ২৯ জুন ২০১৭, ০০:২৪ | আন্তর্জাতিক | null | সৌদি আরবের সিংহাসন নিয়ে খেলা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1232136 | মাত্র কদিন আগে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান তাঁর ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজের ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স, অর্থাৎ যুবরাজ ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন, যা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর নিজের সিংহাসনে আরোহণের মধ্য দিয়ে।প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (৩১) বাদশাহ সালমানের খুবই প্রিয় সন্তান। পশ্চিমে তিনি এমবিএস নামে বেশি পরিচিত। তাঁকে যুবরাজ পদে নিয়োগ দিয়ে বাদশাহ সালমান (৮১) কার্যত মরহুম বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের ছেলেদের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলার কয়েক দশকব্যাপী ঐতিহ্য থেকে সরে আসার একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন।কাঠামোগতভাবে সৌদি আরবে আর ক্ষমতার ভাগাভাগি হবে না। দেশটি এখন নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রে ফিরেছে। ক্ষমতা এখন সম্পূর্ণভাবে বাদশাহর হাতে কেন্দ্রীভূত এবং তিনি এই ক্ষমতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁর কোনো ছেলের কাছে দিয়ে যাবেন।তবে বাস্তবে মোহাম্মদের যুবরাজ পদে এই নিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে এবং বহু উপাদানবিশিষ্ট, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ শক্তি কেন্দ্রগুলোর যে স্বাভাবিক রাজনৈতিক ঝুঁকি রয়েছে, তাকে প্রশমিত করবে। তবে এই নতুন ব্যবস্থার যেমন সুবিধা আছে, তেমনি এতে ক্ষতির আশঙ্কাও আছে। কারণ, সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্তগুলো তর্কাতীত ও প্রশ্নাতীত থেকে যেতে পারে।বাদশাহ সালমান মারা গেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বাদশাহ হবেন। ক্ষমতার পথে তাঁর উত্থান ২০০৯ সালে। সে সময় তিনি তাঁর বাবার উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। তখন তাঁর বাবা ছিলেন রিয়াদের গভর্নর। যুবরাজ হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চমক। সিংহাসনে আরোহণের প্রতিযোগিতায় মোহাম্মদ জয়ী হয়েছেন, যেখানে কিনা আরও শত শত প্রিন্স ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই মোহাম্মদের চেয়ে বয়সে বড় ও অভিজ্ঞ এবং তাঁরা মনে করতেন, ভবিষ্যতে তাঁরাই বাদশাহ হিসেবে নির্বাচিত হবেন।এটা ঠিক যে বাদশাহর পক্ষপাতিত্ব সুস্পষ্টভাবে মোহাম্মদের সিংহাসনে আরোহণের পথ সুগম করেছে। কিন্তু এটাই তাঁর সাফল্যের একমাত্র ব্যাখ্যা নয়। সৌদি সমাজের প্রধান ক্ষেত্রগুলোর ওপর তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং তাঁর ক্ষমতা সুসংহত করতে মোহাম্মদকে তাঁর বুদ্ধি, চাতুর্য ও ব্যক্তিত্বের ওপর ভরসা করতে হয়েছিল। এই প্রধান ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজপরিবার, ব্যুরোক্র্যাট ও টেকনোক্র্যাট-গোষ্ঠী, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, বৃহৎ জাতীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।সৌদি রাজপরিবারের কঠোর প্রটোকল এবং প্রাধান্যপরম্পরার বিষয়টি কঠিনভাবে মেনে চলেই মোহাম্মদ এসব করছিলেন। এই বিষয়টি আমাদের ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে যে কেন যুবরাজের পদটি একজন থেকে মসৃণভাবে আরেকজনের কাছে চলে গেল। বহুল প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, সদ্য যুবরাজ পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নাইফের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে তাঁর হাতে চুমু খাচ্ছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।মোহাম্মদের দ্বিতীয় বড় অর্জন হচ্ছে পররাষ্ট্রনীতিতে, যেখানে তিনি তাঁর সক্ষমতা তাঁর বাবার কাছে প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরপরই প্রিন্স মোহাম্মদ রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বৈঠকের উদ্যোগ নেন। তাঁরই একান্ত প্রচেষ্টায় গত মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব সফর করেন। ট্রাম্পের সফর সৌদি আরবের জন্য একটি বড় বিজয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে সৌদি-মার্কিন সম্পর্ক নিম্নতম পর্যায়ে পৌঁছায়। কিন্তু এখন সেটা স্বাভাবিক হয়েছে। ট্রাম্প তাঁর সৌদি সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের কৌশলগত সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, যেগুলোর মূল্যমান কয়েক শ কোটি ডলার।যুবরাজ মোহাম্মদ সৌদি আরবের জন্য দুটি বড় লক্ষ্য স্থির করেছেন। প্রথমটি হচ্ছে ভিশন ২০৩০ নামে একটি কর্মসূচির বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে সৌদি অর্থনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসবে। তিনি চান তেলের রাজস্বের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং তেলক্ষেত্রের বাইরে অন্যান্য ক্ষেত্রে ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে। নতুন যুবরাজ মনে করেন, বিকল্প জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির উত্থানের ফলে ভবিষ্যতে সৌদি আরবের বিশাল তেলের ভান্ডারের মূল্য খুব একটা থাকবে না। ভিশন ২০৩০-এর আওতায় মোহাম্মদ চেষ্টা করবেন সৌদি আরবের তেলের ভান্ডার থেকে যতখানি সম্ভব আয় করতে। এই অর্থ তারপর দেশের অ-তেল খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ করবেন এবং তেলের রাজস্ব আয় যে অনিবার্য ক্ষতির মুখে পড়বে, তা পূরণের জন্য সমুদ্র উপকূলবর্তী সম্পদে বিনিয়োগ করবেন। প্রিন্স মোহাম্মদ ২০১৮ সালে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর একটি অংশকেও বেসরকারীকরণ করতে আগ্রহী।মোহাম্মদের দ্বিতীয় বড় লক্ষ্য হচ্ছে সৌদি আরবকে একটি আঞ্চলিক সামরিক শক্তিতে পরিণত করা, যাতে দেশটি ইরানসহ বাইরের যেকোনো দেশের হুমকি মোকাবিলা করতে পারে। এ জন্য তাঁকে তাঁর দেশকে এমন একটি দেশে পরিণত করতে হবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সুরক্ষার ওপর বেশি নির্ভরশীল হতে না হয়। সৌদি আরব ১৯৪৫ সাল থেকে তার সামরিক সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।নতুন যুবরাজের এসব লক্ষ্য পূরণ হতে এক দশক বা তার চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। তবে এখন তাঁর ক্ষমতার ভিত্তি মোটামুটি নিশ্চিত এবং মনে হচ্ছে তিনি তাঁর প্রতিটি লক্ষ্যই পূরণ করবেন।স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট। অনুবাদ: রোকেয়া রহমান।বার্নার্ড হেইকেল: যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির নিয়ার ইস্টার্ন স্টাডিজের অধ্যাপক। | 323,278 |
নেত্রকোনা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ০১:৪৪ | ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ০১:৪৫ | নেত্রকোনা | 0 | এক সপ্তাহে মারা গেছে ১২০০ মেট্রিক টন মাছ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1155506 | নেত্রকোনার চারটি উপজেলায় বিভিন্ন হাওরে পানি দূষিত হয়ে গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ হাজার ১৮০ দশমিক ৮৫ মেট্রিক টন মাছমারা গেছে। পাশাপাশি ব্যাঙ, কাঁকড়া, সাপ, কুঁচিয়া, শামুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী মারা পড়ছে।গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ এ তথ্য জানান।জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধানগাছ পচে এবং জমিতে ব্যবহার করা রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের মিশ্রণে পানিদূষণ হয়েছে। পানিতে অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে পুরো হাওর এলাকার পানিতে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলে দুর্গন্ধ কিছুটা কমে। পানিদূষণে জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলার বিভিন্ন হাওরে গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ হাজার ১৮০ দশমিক ৮৫ মেট্রিক টন মাছ মারা গেছে। এ ছাড়া মাছের মড়কের পাশাপাশি ব্যাঙ, কাঁকড়া, সাপ, কুঁচিয়া, শামুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী মারা পড়ছে। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে এ মহামারি দেখা দিয়েছে।মোহনগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পানি দূষণমুক্ত করতে আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাওর মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতায় ও খালিয়াজুরিতে ১০ হাজার ৩১০ কেজি চুন, ১৩৫ কেজি অক্সিজেন সাবলিমেন্ট (অক্সি-এ, অক্সি-ফ্লো, অক্সিম্যাক্স) প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে বিশাল এই হাওরে এগুলো তেমন কাজে আসবে না। ভারী বৃষ্টি হলে হয়তো আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উচ্চতর পরীক্ষার জন্য হাওরের মাটি ও পানির নমুনা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি।’জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা ও খালিয়াজুরির কয়েকটি হাওরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এখন অক্সিজেনের পরিমাণ কিছুটা বাড়ছে। গত মঙ্গলবার যেখানে দশমিক ২ (শূন্য দশমিক ০২) ছিল, রোববার বিকেলে সেখানে ৩ দশমিক ৪ (৩ দশমিক ০৪) মাত্রা।জেলা প্রশাসক মো. মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই হাওরগুলোতে পর্যাপ্ত মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। তিন মাসের মতো মাছ আহরণ বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। | 313,338 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ নভেম্বর ২০১৩, ২৩:৩৭ | ২১ নভেম্বর ২০১৩, ০০:১৬ | রাজনীতি | null | প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বিএনপির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/78445 | জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা একদলীয় নির্বাচনের নীল নকশার অংশ। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, সরকার জনদাবি উপেক্ষা করে এক তরফাভাবে নির্বাচন করতে চাইছে। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।আজ বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে একদলীয় শাসনেরই প্রতিফলন বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বিরোধী দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান। অন্যথায় এর ফলে বিশৃঙ্খলা হলে দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। | 29,197 |
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুন ২০১৬, ০১:২০ | ২৮ জুন ২০১৬, ০১:২১ | সৈয়দপুর,নীলফামারী,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | পার্বতীপুর শহরে যানজটে নাকাল যাত্রীরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/901495 | দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌর শহরে প্রায় প্রতিদিনই যানজটে নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। বাইপাস সড়ক ব্যবহার না করে দূরপাল্লার বাসসহ সব ধরনের যানবাহন শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল করায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।শহরের কয়েকজন বাসিন্দা প্রথম আলোকে বলেন, নতুন বাজার প্রধান সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক দাঁড় করিয়ে মালামাল ওঠানামা করানো হয়। অন্যদিকে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে দোকানপাট। এতে মহাসড়ক অপ্রশস্ত হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানের সড়কে দূরপাল্লার যানবাহনগুলোতে যাত্রী ওঠানামা হয়। এসব কারণে প্রায় প্রতিদিনই শহরে তীব্র যানজট লেগে থাকে। পৌরবাসীকে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। পৌর কর্তৃপক্ষ যানজট নিরসনে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।মোজাফফর নগর মহল্লার মিনহাজুল সরকার বলেন, নর্দমাব্যবস্থা একেবারেই নিম্নমানের। শহর থেকে দ্রুত পানিনিষ্কাশনে ছোট-বড় নর্দমা থাকলেও পরিষ্কার করা হয় না বছরের পর বছর। এখন রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে নর্দমার ময়লা রাস্তায় উঠে পড়ে। একে তো যানজট, তার ওপর নোংরা পানি। হেঁটে যাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়ে। ভোগান্তির আর সীমা থাকে না।পৌরসভার মেয়র এ জেড এম মিনহাজুল হক বলেন, যানজট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের অন্য সমস্যাগুলো সমাধানেও পৌর পরিষদ শিগগিরই কাজ করবে। | 236,474 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:২৭ | ১৮ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:২৮ | রংপুর,রংপুর বিভাগ,অপরাধ | 0 | ফেল করায় কলেজে ভাঙচুরের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/687031 | ফেল করায় রংপুর মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা কলেজের তিনটি বিভাগে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিন বিষয়ে ফেল করায় চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হয়ে আজ দুপুরে ফার্মাকোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও প্যাথলজি বিভাগে টেবিল-চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ ছাড়া কাগজপত্র ছিঁড়ে তছনছ করে। এ সময় ওই তিন বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন না। এ তিন বিভাগে মোট ৬৮ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।কয়েকজন শিক্ষকের দাবি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের ফেল করা শিক্ষার্থীরা এক জোট হয়ে অতর্কিতভাবে এ ভাঙচুর চালায়।ছাত্রলীগ মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের এক নেতা জড়িত রয়েছেন—এমনটা দাবি করে বলেন, তবে ছাত্রদল ও শিবিরের একটি পক্ষ এই হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবিও জানান। তা না হলে কলেজের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।এদিকে কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হটাতে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গেছে।ঘটনার পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষÿআবু তালেবের সভাপতিত্বে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা হয়। সেখানে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষÿআবু তালেব বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। | 175,238 |
পাবনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ মে ২০১৫, ০০:২৬ | ২২ মে ২০১৫, ০০:২৭ | পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/533929 | ধানসহ সব ধরনের ফসলের ন্যায্যমূল্য, কৃষি উপকরণের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির পাবনা জেলা শাখা সংবাদ সম্মেলন করেছে। শহরের খেয়াঘাট সড়কে সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সমিতির পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুস শুকুর। সমিতির অন্য দাবিগুলো হচ্ছে: সরকার-নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ, গ্রাম ও শহরের গরিব মানুষদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা চালু, আবাদি জমি ধ্বংস না করা, পর্যাপ্ত খাদ্যগুদাম ও উন্নত হিমাগার গড়ে তোলা, বিনা মূল্যে সেচ ও সুদমুক্ত কৃষিঋণ চালু, পরিকল্পিত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা চালু, দেশের অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফসল উৎপাদনে কৃষকদের খরচ দিনে দিনে বাড়ছে। উচ্চমূল্যে সার, বীজ, সেচ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ কেনায় লোকসানের মুখে পড়ছেন কৃষক। এ বছর কৃষকের বোরো ধান উৎপাদন করতে অঞ্চলভেদে খরচ দাঁড়িয়েছে মণপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধানের দাম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। সরকারিভাবে এ দাম ধার্য করা হয়েছে ৮৮০ টাকা। কিন্তু দালাল চক্রের কারণে কৃষক সরাসরি সরকারি গুদামে ধান দিতে পারছেন না। | 141,084 |
প্রিয় নায়ক জিৎ | entertainment | বিনোদন | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৫২ | ২৮ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:০১ | আলাপন,নুসরাত ফারিয়া | null | প্রিয় নায়ক জিৎ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1426906 | দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ ছবিটি। জিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া।প্রথম ভালোবাসা বাংলাদেশ।আমদানি নীতিমালায় গত ২৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ ছবিটি। অশোক পতি পরিচালিত ছবিতে কলকাতার নায়ক জিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের মেয়ে নুসরাত ফারিয়া। কথা হলো তাঁর সঙ্গে।ছবি থেকে সাড়া পাচ্ছেন কেমন? প্রথম সপ্তাহে ৮২টি হলে মুক্তি পায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে ১০৪টি হলে। শুনেছি তৃতীয় সপ্তাহে আরও হল বাড়বে। তাহলে বোঝেন এবার কেমন যাচ্ছে ছবিটি। শুরুর দিকে ছবিটি নিয়ে তেমন একটা আলোচনা না থাকলেও এখন বেশ আলোচিত হচ্ছে, প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়ছে।সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখেছেন? হ্যাঁ, মুক্তির পরের দিন বলাকা হলে গিয়েছিলাম। আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন মিলে ২২ জন একসঙ্গে ছবিটি দেখেছি। আমার প্রথম ছবি ‘আশিকী’র পর এই ছবি পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখলাম।আপনার অভিনয় দেখে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের প্রতিক্রিয়া কেমন? মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আমার কাজের সবচেয়ে বড় সমালোচক আমার পরিবারের সদস্যরা। কেউ কেউ বলেছেন, আগের চেয়ে নাকি আমার অভিনয় কিছুটা পরিপক্বতা পেয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, আমি নাকি একটু মুটিয়ে গেছি। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা আমার কয়েকজন কাজিন ছবিটি খুব উপভোগ করেছেন।শুটিংয়ের ব্যস্ততার বাইরে নিজের সময় কীভাবে কাটে? সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা পড়ি। কাজ না থাকলে নিয়মিতই ব্যায়াম করতে যাই। যদি শুটিংয়ের বড় বিরতি থাকে, নিজের জমানো টাকা দিয়ে দেশের বাইরে ঘুরতে চলে যাই, শপিং করি।কলকাতার ছবিতে আপনি বেশি কাজ করছেন। আপনি কি কলকাতাপ্রেমী? বিষয়টি ঠিক নয়। প্রথম ভালোবাসা বাংলাদেশ। এটা ঠিক, ছবি মুক্তির আগে-পরে প্রচারণার জন্য কলকাতায় বেশি সময় দিই। সেখানকার প্রযোজকেরা সে ধরনের আয়োজন রাখেন। আমি তো বাংলাদেশেও করতে চাই। কিন্তু এখানকার প্রযোজকেরা তো সে ধরনের আয়োজন করতে চান না। আর গণমাধ্যম থেকেও সেই সহযোগিতা পাওয়া যায় না। অনেক সময় এখানে প্রচারে ভয়ও লাগে। কারণ প্রচারণার ছবি, বক্তব্য কেউ কেউ নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেন। এখানে করার মতো ছবি পেলে অবশ্যই করব। এর আগে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু পছন্দ হয়নি।আপনার প্রিয় নায়ক জিৎ নাকি শাকিব খান? অবশ্যই জিৎ। এই নামটি বলতে কোনো চিন্তাই করার প্রয়োজন নেই। তাঁর সঙ্গে তিনটি সিনেমা করেছি। তাঁর ভালো দিক, খারাপ দিক-সবই আমার জানা। তিনি অনেক বড় শিল্পী, বড় মনের মানুষ।শোনা যাচ্ছে, প্রেম করছেন। বিয়ে করবেন কবে? কে বলল আমি প্রেম করছি? আমার অনেক ঝামেলা, আমি প্রতিনিয়তই প্রেমে পড়ি। কাউকে না কাউকে ভালো লাগে। কিন্তু কারও সঙ্গেই দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এটাই সমস্যা। হলেই বিয়ে করে ফেলব।সাক্ষাৎকার: শফিক আল মামুন | 354,305 |
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জুন ২০১৫, ০১:৪৭ | ২৬ জুন ২০১৫, ০১:৪৮ | অভয়নগর,যশোর,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | অভয়নগরে অবিরাম বৃষ্টি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/562771 | অবিরাম বৃষ্টিতে গতকাল বৃহস্পতিবার যশোরের অভয়নগর উপজেলায় জনজীবন বিঘ্নিত হয়। গতকাল সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত বৃষ্টি ছিল। টানা বৃষ্টির কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারেননি। উপজেলার হাটবাজার ও রাস্তাঘাটগুলো ছিল অনেকটা জনশুন্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। | 148,090 |
ছায়েদ আহম্মদ মজুমদার | education | শিক্ষা | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৬ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৬ | পড়াশোনা | 0 | প্রাথমিক বিজ্ঞান | http://www.prothom-alo.com/education/article/968089 | *২ নম্বর প্রশ্ন:সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরপ্রিয় পরীক্ষার্থী, প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের ২ নম্বর প্রশ্নটি থাকবে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর হিসেবে। নিচে পাঠ্যবইয়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।প্রশ্ন: মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?উত্তর: সূর্যতাপে সাগর ও নদীর পানি বাষ্পীভূত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। বাষ্পীভূত পানি ওপরে উঠে ঠান্ডা ও ঘনীভূত হয়ে পানির বিন্দুতে পরিণত হয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির বিন্দু একত্র হয়ে মেঘ সৃষ্টি হয়।প্রশ্ন: দূষিত পানি পান করলে কী কী রোগ হতে পারে?উত্তর: দূষিত পানি পান করলে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগ হতে পারে।প্রশ্ন: পানি দেহের কী কাজ করে?উত্তর: আমরা যখন খাদ্য গ্রহণ করি, তখন পানি সেই খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। পুষ্টি উপাদান শোষণ করে দেহের প্রতিটি অঙ্গে তা পরিবহনে সাহায্য করে। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতেও পানি সহায়তা করে।প্রশ্ন: পানি শোধনের দুটি উপায় লেখো।উত্তর: পানি শোধনের দুটি উপায় হলো—১. থিতানো ও ২. ফোটানো।প্রশ্ন: পানির দুটি উেসর নাম লেখো।উত্তর: পানির দুটি উেসর নাম হলো—১. বৃষ্টি ও ২. নদী-নালা।প্রশ্ন: পানি বিশুদ্ধকরণের দুটি রাসায়নিক পদার্থের নাম লেখো।উত্তর: পানি বিশুদ্ধকরণের দুটি রাসায়নিক পদার্থ হলো—১. ফিটকিরি ও ২. ব্লিচিং পাউডার।প্রশ্ন: উদ্ভিদ ও মানবদেহের মধ্যে কত ভাগ পানি রয়েছে?উত্তর: উদ্ভিদের দেহের প্রায় ৯০ ভাগ এবং মানবদেহের ৬০-৭০ ভাগ পানি রয়েছে।প্রশ্ন: পানিকে শীতল করলে কী হয়?উত্তর: যখন পানিকে শীতল করা হয়, তখন তা জমে কঠিন বরফে পরিণত হয়।প্রশ্ন: পানি কীভাবে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তিত হয়?উত্তর: তাপ প্রয়োগ ও ঠান্ডা করার মাধ্যমে পানি এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তিত হয়।প্রশ্ন: নিরাপদ পানির প্রয়োজনীয়তা কী?উত্তর: আমাদের দেহের খাদ্য পরিপাকে এবং সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে নিরাপদ পানির প্রয়োজন।প্রশ্ন: খাদ্য পরিপাকে পানি কী হিসেবে কাজ করে?উত্তর: খাদ্য পরিপাকে পানি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।*বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালশিক্ষকরাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা | 271,617 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০১ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০১ | অধুনা | 0 | বুঝতে পারা | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1052075 | আমার বয়স তখন অল্প। আমি ছোট থেকে বেড়ে উঠেছি এক অন্য রকম পরিবেশে। মা-বাবা আর ঠাম্মা ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। ছিল না কোনো ভাইবোন বা খেলার সাথি। তবে আমার বাবা ছিলেন আমার কাছে সব। তিনি আমাকে সব সময় জুতো পরার কথা বলেতেন। অত জুতো পরতে কি ইচ্ছা করে! বাবার চোখ শুধু আমার পায়ের দিকে। বাবা শুধু বলেন, ‘জুতা কই, জুতা কই, জুতা কই?’ কান ঝালাপালা হয়ে যায় শুনতে শুনতে। অত জুতা পরলে আমার পা জ্বালা করে। তবে জুতা আমার খুব অপছন্দের ছিল। আমার খুব ইচ্ছা করে খালি পায়ে হাঁটতে, দৌড়াতে, খালি পায়ে জলে গিয়ে ভিজতে, মুখ ভেজাতে, হাত ভেজাতে, মাথা ভেজাতে, পুরো শরীর ভেজাতে। কী যে আনন্দ!কী মিষ্টি এক শীতের রাত, আমি লেপের ভেতর মাকে জড়িয়ে শুয়ে আছি, ভোর হয়ে এসেছে আমার ঘুম ভাঙেনি, ঘুম ভেঙে গেছে বাবার!বেশ অবাক কাণ্ড! আমার আগে বাবা কখনো ওঠেন না, প্রতিদিন তো আমিই বাবাকে ডেকে ডেকে ওঠাই। তাহলে আজ এমন হলো কীভাবে?কিছুক্ষণ পর বাবা আমাকে ঠেলা দিয়ে বললেন, ‘যাবা?’আমার ঘুমটা ছিল তখন কাচের পেয়ালার মতো, একটু হাত লাগলেই ভেঙে চৌচির।আমি চোখ খুলে বললাম, ‘যাব।’ অমনি লাফ দিয়ে উঠলাম।মা বললেন, ‘ওকেও কি নিয়ে যাবা?’বাবা বললেন, ‘হুম।’আমি তো বেশ খুশি, এত সকালে কখনো যাইনি বাইরে। বাবা আমাকে একটা মোটা কাপড় পরালেন। আমি দৌড়ে গেলাম জুতা নিতে। বাবা বললেন, ‘আজ জুতা লাগবে না।’আমার তো খুশির শেষ নাই। বাবা আমাকে বলছেন জুতা লাগবে না। এটা তো আমার কাছে এভারেস্ট জয় করার মতো বিষয়। আমার মনে হলো বাবা আমার কষ্ট বুঝেছেন। বাবাও দেখি জুতা পরেননি!তারপর আমরা বের হলাম। একটা রিকশা নিলাম, কিছু সামনে গিয়ে দেখি রিকশা আর এগোতে দেবে না। আমরা তখন হাঁটা ধরলাম খালি পায়ে। দেখি আরও অনেক মানুষ। এ কী, কারও পায়ে জুতা নেই! আমার বেশ অন্য রকম লাগল।কুয়াশাভরা রাজপথ আর এত লোক, আমি কখনো এত মানুষ একসঙ্গে দেখিনি। কারও পায়ে জুতা নেই। আমার পায়ে নেই, বাবার পায়ে নেই, সামনের লোকটির পায়ে নেই, পেছনের লোকটির পায়েও নেই!কেমন আস্তে আস্তে এগোচ্ছে সবাই, সবার মুখে শুনি কেমন একটা গান, সবাই সুর করে গাচ্ছে!সবার হাতে দেখি ফুল। বাবাও দেখি কোথা থেকে একটা ফুল বের করলেন, আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন।আমি শুনছি সবাই যেন কোনো ভাই হারানোর কথা বলছে, সবাই যেন রক্তের কথা বলছে। এত মানুষের ভাই হারিয়েছিল এক দিনে? এত মানুষ রক্ত দিয়েছিল এক দিনে? আমার বেশ ভয় লাগে। আমার মাথায় বেশ কয়েকটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।এ কী, বাবাও দেখি গানটি গাচ্ছেন! তাহলে কি বাবারও ভাই হারিয়েছিল এই দিনে, বাবার ভাইও কি রক্ত দিয়েছিল এই দিনে?বাবা আমাকে বললেন, ‘গান গাও।’কিন্তু আমার তো কোনো ভাই নাই, আমি তো কারও ভাইও নই, আমার তো কেউ রক্তও দেয়নি। কারা ছিল এত মানুষের ভাই? সবাই দেখি গাইছে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি, আমি কি ভুলিতে পারি!’আমিও গাইতে লাগলাম, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো...।’আমার মনে হাজার প্রশ্ন ঘুরছে—কারা হারিয়ে গেছে, কারা রক্ত দিচ্ছে, কাদের জন্য আমরা খালি পায়ে হাঁটছি, কাঁদছি?আমি তো অত ভালো হাঁটতে পারি না, আস্তে আস্তে রাস্তার পাশ দিয়ে চলছি, দেখছি রাস্তায় অনেকে সারি বেঁধে চলছে, কী সুন্দর লাগছে তাদের! কোথা থেকে বাবা যেন একটা কালো ফিতা এনে আমাকে পরায়ে দিলেন।এ কেমন দিন এল! এত মানুষের দিন, এত ফুলের দিন, কালো ফিতার দিন, ভাইয়ের জন্য কাঁদার দিন? এ দিন কি আগে কখনো আসেনি, নাকি বাবা আমাকে কখনো এ দিন দেখতে দেননি?আমি আর হাঁটতে পারছি না, বাবা আমাকে অনেকক্ষণ কোলে নিয়ে হাঁটলেন, মজাও হলো। একটু এগোতেই দেখি একটা লাল বড় সূর্য। কী বড় সূর্যটা! সবাই দেখি সূর্যটার সামনে ফুল রাখছে, কত ফুল, ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে চারপাশ। আমি এত ফুল এর আগে কোথাও দেখিনি। আরেকটু হলে ফুল দিয়ে সূর্যটা ঢেকে যাবে। লাল টকটক সূর্য ডুবে যাবে হলুদ, লাল, নীল, ফুলের ভেতর। সারি বেঁধে ফুল রাখছে সবাই।আমি আর বাবা সেই লাল সূর্যটার দিকে এগোতে লাগলাম। আমি কি ভুলিতে পারি, আমি কি ভুলিতে পারি বলতে বলতে ফুলটা রাখলাম সেই সূর্যটার কাছে। বাবাও তার ফুলটা রাখল সেই সূর্যের পায়ের নিচে, মনে হলো সূর্যটা একটা বিশাল বড় ফুল, যার শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।এসব দেখে আমার বুক কাঁপছে, আমার মনে হাজারটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, আমাকে অন্য রকম লাগছে, চোখ ফেটে জল বেরোতে চাচ্ছে। এত মানুষ, এত ফুল, এত বড় লাল সূর্য আমি আগে দেখিনি। এ আমি কী দেখলাম? এ কি স্বপ্ন?আমি বাড়ি ফিরে এলাম, আমার বুক এখনো কাঁপছে, আরও বেশি করে কাঁপছে। আমি বাবাকে বললাম, বাবা আমাকে অনেক কিছু বলল। আমার মনে হলো আমি আর আমি নাই, আমার বুক আরও বেশি করে কাঁপতে লাগল। আমি অনেক কিছু ভাবতে থাকলাম। আমার বেশ কষ্ট হচ্ছে। আমার চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরি, আমি কেঁদে ফেলি, মা-ও কেঁদে ফেলেন।আমার মনে একটা গানই বাজছে, ‘আমি কি ভুলিতে পারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’চিত্ত ভানু, দিনাজপুরলেখাপাঠানোরঠিকানাঅধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ই-মেইল: adhuna@prothom-alo.info ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA.খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’ | 280,213 |
প্রতিনিধি, গৌরনদী, বরিশাল | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:২৫ | ০২ মে ২০১৯, ১৫:৪২ | গৌরনদী,অপরাধ,মামলা,বরিশাল,বরিশাল বিভাগ,আত্মহত্যা | 0 | জামাতার অত্যাচারে শ্বশুরের আত্মহত্যায় মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1591524 | বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে মেয়ের জামাইয়ের অত্যাচারে শ্বশুরের আত্মহত্যার ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় মামলার আসামিরা হলেন জামাতা তাওহীদ হাওলাদার (২৪), তাঁর বাবা মোক্তার হাওলাদার (৪৮), মা সুরাতন নেছা (৩৮) ও ছোট ভাই সলেমান হাওলাদার (২১)। এ ছাড়া এ মামলায় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।মামলাটির বাদী হয়েছেন উপজেলার কমলাপুর গ্রামের জামাল সরদার (৫০)। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তাঁর বড় ভাই গফুর সরদারের (৬০) কন্যা তামান্না বেগম (১৮) নিজের পছন্দে তিন মাস আগে প্রতিবেশী মোক্তার হাওলাদারের পুত্র তাওহীদ হাওলাদারকে (২৪) বিয়ে করেন। তবে বিয়ের কিছুদিন পর জামাতা তাওহীদ শ্বশুর গফুরের (৬০) কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গফুর যৌতুক দিতে অস্বীকার করেন। এতে গত বুধবার সকালে তাওহীদ শ্বশুরবাড়ি এসে গফুরকে লাঞ্ছিত করেন। লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ওই দিন গফুর গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির কথা শুনে তাওহীদ আরও ক্ষিপ্ত হন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তাওহীদ পুনরায় শ্বশুরবাড়ি এসে গফুরকে যৌতুক হিসেবে নতুন একটি ইজিবাইক কিনে দিতে বলেন। গফুর পুনরায় তা দিতে অস্বীকার করলে তাওহীদ তাঁকে গালাগাল ও একপর্যায়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ অপমান সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গফুর কীটনাশক পান করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে বরিশালের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে। | 400,027 |
দিনাজপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ জুন ২০১৬, ০১:০৯ | ২৭ জুন ২০১৬, ০১:১০ | বিশাল বাংলা | 0 | দিনাজপুরে ১৯ চেয়ারম্যানের শপথ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/900325 | দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ গতকাল রোববার বেলা তিনটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মো. ইমতিয়াজ হোসেন চেয়ারম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করান। ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি এবং পার্বতীপুর উপজেলার সাতটি ইউপিতে সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গতকালের শপথ অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সবাই উপস্থিত ছিলেন। | 236,167 |
রানা আব্বাস, কার্ডিফ থেকে | sports | খেলা | ০৭ জুন ২০১৯, ২৩:৩৭ | ০৮ জুন ২০১৯, ১২:১৭ | ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,ইংল্যান্ড,বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল,বাংলাদেশ ক্রিকেট | null | ওই ম্যাচটা বদলে দিয়েছে দুই দলকে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1598119 | একটি ম্যাচ কীভাবে বদলে দিতে পারে দুটি দলকে, সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে অ্যাডিলেডে ২০১৫ বিশ্বকাপের বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ। বাংলাদেশ দলে বদল এসেছে ম্যাচ জিতে। আর ইংল্যান্ডের পরিবর্তন হয়েছে ম্যাচটা হেরে! বাংলাদেশ দলের কোচ থাকার সময় চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাই অনেকবারই বলেছেন কথাটা, ‘২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাটা ছিল আমাদের বড় টার্নিং পয়েন্ট।’২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে লেখা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের অমর এক কাব্য, খুলে গিয়েছিল স্বপ্নের দরজা। ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারিয়ে মাশরাফিরা নিশ্চিত করেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনাল। এই সাফল্য বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নিয়ে গেছে আরেক উচ্চতায়। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর বাংলাদেশ দলে যে বিশ্বাসটা ভীষণ পোক্ত হয়েছে—‘হারাতে পারি যেকোনো দলকেই’। সেটিরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ওই বছর দেশের মাঠে যে কটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছেন মাশরাফিরা, প্রতিটি জিতেছেন। সাফল্যধারা অব্যাহত থেকেছে পরেও। ইংল্যান্ডেই হওয়া ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলা, কদিন আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে ফাইনাল না জেতার দুঃখ ঘোচানো—সবই ২০১৫ বিশ্বকাপজাত আত্মবিশ্বাস থেকে। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়াই—এই বাংলাদেশকে নিয়ে এখন আকাশসম স্বপ্ন।২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডের ম্যাচটি যদি বাংলাদেশের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকে, ইংল্যান্ডের কাছেও সেটি কি বড় শিক্ষা নয়? ওই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর ইংলিশ ক্রিকেটারদের ভাবনায় যে এসেছে অনেক বদল, অস্বীকার করা যাবে? ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে গত চার বছরে তারা নিজেদের পরিণত করেছে দুর্দান্ত এক দলে। এ সময়ে নবজাগরণই যেন হয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেটে। গত বিশ্বকাপ থেকে এই ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ৯০ ম্যাচে ৫৯ জয় নিয়ে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডই সবচেয়ে সফল দল। ইংলিশরা ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অনায়াসে ৩০০-এর ওপরে স্কোর তাড়া করে, আগে ব্যাটিং করলে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রানের বন্যা বইয়ে দিতে পারে। জো রুট, এউইন মরগান, জেসন রয়, বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, আদিল রশিদ, মঈন আলীদের মতো অসাধারণ সব ক্রিকেটার নিয়ে গড়া দলটি গত চার বছরে এতটাই ধারাবাহিক—ইংল্যান্ডের খেলা মানেই এখন অন্য রকম রোমাঞ্চের নিশ্চয়তা। নিজেদের ঘরের মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে ফেবারিট মানা হচ্ছে তো এ কারণেই।বাংলাদেশের কাছে হারের পর ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, অতঃপর নিজেদের বদলে ফেলা—কাল এউইন মরগান অবশ্য পুরোপুরি একমত হতে পারলেন না। ইংলিশ অধিনায়ক বরং মনে করেন, অ্যাডিলেডের আগে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেট হারের বড় মূল্য দিতে হয়েছে তাঁদের, ‘ওই ম্যাচ ঠিক নয় (বাংলাদেশের বিপক্ষে)। হ্যাঁ, ওই ম্যাচ হেরে আমাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, যেটিতে আমি খেলেছি। শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ বলেই নয়, ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারটাও পরে আমাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।’যে ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে, সেটি মরগান এড়িয়ে যেতে চাইলেও মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে অবশ্যই তা ভীষণ স্মরণীয়। সাড়ে চার বছর আগে অ্যাডিলেডের ওই ম্যাচটা কতটা বদলে দিয়েছে দলকে—বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য বিস্তারিত নয়, কাল সংবাদ সম্মেলনে সারমর্মটুকুই শুধু বললেন, ‘যে দলের বিপক্ষে খেলি, জিতব—২০১৫ বিশ্বকাপের (ইংল্যান্ড ম্যাচ) পর আমরা প্রতিটি ম্যাচ খেলতে নেমেছি এ ভাবনায়। খেলোয়াড়দের আলোচনা বা মিটিংয়ে এ আলোচনা বা পরিকল্পনা কখনো করিনি যে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারব না।’আজ কার্ডিফেও বাংলাদেশ নিশ্চয়ই একই ভাবনায় নামছে! | 405,051 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৩ মার্চ ২০১৭, ০২:১১ | ০৩ মার্চ ২০১৭, ০২:১৩ | দেশের ক্রিকেট,খেলা | 0 | পিএসএল ফাইনালের অপেক্ষায় এনামুল | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1096069 | এক দিন আগেও তিনি ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) নিয়ে। এনামুল হকের লক্ষ্য এখন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। কোয়েটা গ্লাডিয়েটরর্সের হয়ে পিএসএল খেলার কথা তাঁর। সে জন্য কাল সকালে বিসিবিতে এসেছিলেন অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিতে। বাংলাদেশের শাহরিয়ার নাফীস পিএসএলের ফাইনাল খেলতে পারেন বলে শোনা গেলেও শুধু এনামুলই এনওসি চেয়েছেন। শাহরিয়ার কাল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, পিএসএলের ফাইনাল খেলার ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগে করেনি। কিন্তু অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় আটকে আছে এনামুলের ভিসাপ্রক্রিয়া। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বললেন, ‘আজ (কাল) সকালে প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেখা করেছি। কাল (আজ) সকালে তিনি ফোন করতে বলেছেন। এনওসি পাব কি না এখনো নিশ্চিত নই।’ বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এ নিয়ে কাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ ধরনের একটি বিষয় আজ (কাল) আমরা জেনেছি। বোর্ডে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্বিক বিষয় চিন্তা করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’কোয়েটা এরই মধ্যেই উঠে গেছে পিএসএলের ফাইনালে। ৫ মার্চ টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে লাহোরে। অনাপত্তিপত্র পেলেই পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেবেন এনামুল। | 298,946 |
খুলনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৫৪ | ২৮ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৫৪ | খুলনা,খুলনা বিভাগ | 0 | নাম পরিবর্তন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/843115 | খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ‘এনার্জি টেকনোলজি বিভাগ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ’ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনসংক্রান্ত একটি চিঠি গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে পৌঁছায়। | 224,397 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩০ | ০৭ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৪ | মোবাইল ফোন,ফোর জি | null | নতুন ফোরজি ফোন | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1577324 | দেশের বাজারে ৩ জিবি র্যামের নতুন ফোরজি স্মার্টফোন ‘প্রিমো আরফাইভ প্লাস’ এনেছে ওয়ালটন। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে বড় পর্দার ফুল ভিউ ডিসপ্লে, ফেস আনলকসহ অত্যাধুনিক সব ফিচার। ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিক্রয় বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান, নতুন আসা ফোনটি ‘আর’ সিরিজের ‘প্রিমো আরফাইভ’ মডেলের হালনাগাদ সংস্করণ। নতুন মডেলে বেশি র্যামসহ বেশ কিছু ফিচার বাড়ানো হয়েছে। এর ওজন ১৪৫ গ্রাম। ৮ দশমিক ৩ মিলিমিটার পাতলা ফোনটি নীল ও কালো রঙে বাজারে এসেছে।আসিফুর রহমান জানান, ৫ দশমিক ৭২ ইঞ্চির পর্দার ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ধুলা ও আঁচড়রোধী ২ দশমিক ৫ডি কার্ভড গ্লাস। অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও অপারেটিং সিস্টেমে চালিত ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১ দশমিক ৩ গিগাহার্টজ কোয়াডকোর প্রসেসর। ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত এফ ২.০ অ্যাপারচারসমৃদ্ধ বিএসআই ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। সামনে রয়েছে সফট এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত এফ ২.০ অ্যাপারচারের বিএসআই ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। উভয় পাশের ক্যামেরায় ফুল এইচডি ভিডিও ধারণ করা যাবে।স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। বাংলাদেশে তৈরি এই স্মার্টফোনে রয়েছে বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। এর দাম ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা। | 389,165 |
অর্থ–বাণিজ্য ডেস্ক | economy | অর্থনীতি | ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪৪ | ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫০ | বিদেশের খবর | 0 | দেউলিয়া হতে চায় সিয়ার্স | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1561520 | • যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া আইনে আবেদন করেছে সিয়ার্স হোল্ডিং• ঋণের বোঝা বইতে না পেরে সিয়ার্স এই আবেদন করেছে• সিয়ার্সের ঋণের বোঝা দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি ডলারযুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রির বড় প্রতিষ্ঠান সিয়ার্স দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার আবেদন করেছে। কোম্পানিটির পুরো নাম সিয়ার্স হোল্ডিং, যারা একই সঙ্গে কেমার্টেরও মালিক। সোমবার তারা যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া আইনের ১১ ধারা অনুসারে এ আবেদন করেছে।অনলাইন বেচাকেনার যুগে ইট–কাঠের দোকানের পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব নয়, এমন ধারণা অনেক দিন ধরেই বিশ্লেষকেরা পোষণ করে আসছিলেন। সিয়ার্সের এই আবেদনের মধ্য দিয়ে তার বাস্তবায়ন শুরু হলো বলে তাঁরা মনে করছেন।সিয়ার্সের ঋণের বোঝা দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি ডলার। এই বোঝা কমাতে তারা দোকান বন্ধ করার পাশাপাশি সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে সিয়ার্সের কর্মীসংখ্যা ৯০ হাজার, যদিও পাঁচ বছর আগে তাদের কর্মী ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার। স্বর্ণসময়ে তাদের ৩ হাজার দোকান ছিল।১৯৮০–এর দশকে ওয়ালমার্ট আসার আগে সিয়ার্স যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা ছিল।সোমবার তাদের ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের ঋণের কিস্তি জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পরিশোধ করতে না পেরে তারা শেষমেশ দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার আবেদন করে। দেউলিয়া আইনের ১১ নম্বর ধারা মার্কিন কোম্পানিকে ঋণ পরিশোধের দায় থেকে সাময়িক মুক্তি দেয়। একই সঙ্গে তাদের ঋণ পুনর্গঠন ও সম্পদের একাংশ বিক্রি করার সুযোগ দেয়।কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এডি ল্যামপার্ট দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য এর আগে ঋণ পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা অন্য খাতে ব্যবসা নিয়ে যাওয়ার এবং সম্পদের মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিছু অগ্রগতি হলেও এই পরিকল্পনা যে ফল দেবে বলে আমরা আকাঙ্ক্ষা করেছিলাম, তা আমরা পাইনি।’দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার আবেদনের কথা ঘোষণা করে সিয়ার্স জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তারা ১৪২টি অলাভজনক শাখা বন্ধ করে দেবে। এর আগে তারা বলেছিল, নভেম্বরে তারা ৪৬টি দোকান বন্ধ করে দেবে।বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিনিয়োগ–স্বল্পতার কারণে সিয়ার্সের সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। গ্লোবাল ডেটা রিটেইলের নেইল সন্ডার্স বলেন, ১৯৮০–এর দশকে সিয়ার্স বহুমুখী ব্যবসায় ছড়িয়ে পড়লে সমস্যা শুরু হয়। এতে তাদের দক্ষতা কমে যায়। যে দক্ষতার কারণে তারা একসময় বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে উদ্ভাবনী খুচরা বিক্রেতা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, সিয়ার্সের মতো একসময় সফলতার শীর্ষে থাকা স্তরীভূত খুচরা বিক্রয়কারী কোম্পানি এভাবে পড়ে যাবে, তা যেমন ভয়ংকর ব্যাপার, তেমনি কলঙ্কজনক।তিনি মনে করেন, এই ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তি ধসে গেছে। অর্থনৈতিক কারণেই এমনটি ঘটছে বলে তাঁর মত। অর্থনৈতিক নিয়মে ভবিষ্যতে এ ধরনের ব্যবসায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।১৮৮৬ সালে মেইল অর্ডার ক্যাটালগ ব্যবসায় আত্মপ্রকাশ করে সিয়ার্স। এরপর তারা ইট–কাঠের দোকান খোলে, যা একসময় দেশটির মূল শপিং মলে পরিণত হয়। কিন্তু ১৯৯০–এর দশকে ওয়ালমার্টের মতো স্বল্প খরচের চেইন শপ চলে এলে তারা বিপদে পড়ে।২০১২ সালে সিয়ার্সের কানাডা শাখা মূল কোম্পানি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারা গত বছর দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার আবেদন করে। | 379,725 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ এপ্রিল ২০১৬, ০১:০০ | ২২ এপ্রিল ২০১৬, ০১:০২ | -1 | 0 | ভাষাবিজ্ঞানী আফিয়া দিল আর নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/837004 | ভাষাবিজ্ঞানী ড. আফিয়া দিল আর নেই। ১৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগোর নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৯০ বছর। ২০০৩ সাল থেকে আফিয়া দিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগোর অ্যালিয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (সাবেক ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্বামী আনোয়ার দিলও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। ড. আফিয়া খাতুনের জন্ম ১৯২৭ সালে ঢাকায়, পৈতৃক নিবাস বর্তমান নরসিংদীতে। ১৯৪০ সালে ইডেন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুসলমান মেয়েদের মধ্যে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ইন্টারমিডিয়েটেও একই ফল। ইডেন কলেজের এই কৃতী ছাত্রী ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন। তিনি ইডেন কলেজে অধ্যাপনার (১৯৫৪-১৯৬১) মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় তিনি ১৯৫৩ সালে নিউজিল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে লিডারশিপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় পূর্ব পাকিস্তান থেকে আফিয়াই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ পান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি শিক্ষকতা করেছেন পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা সম্প্রসারণ সেন্টার, ঢাকা ও পশ্চিম পাকিস্তান শিক্ষা সম্প্রসারণ সেন্টার, লাহোরে। তিনি পড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি, কলাম্বিয়া ও সান ডিয়াগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। ড. আফিয়ার প্রথম স্বামী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক (১৯১৮-৬৫)। শামসুল হক ও আফিয়া খাতুন দম্পতির দুই সন্তান উম্মে বতুল ফাতেমা জোহরা এবং উম্মে বতুল তাজমে তাহেরা। পরে ড. আফিয়ার আবার বিয়ে হয় সহকর্মী ভাষাবিজ্ঞানী পাঞ্জাবের জলন্ধরের অধিবাসী অধ্যাপক আনোয়ার দিলের সঙ্গে। আফিয়া দিলের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, বেঙ্গলি ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কালচার, বেঙ্গলি নার্সারি রাইমস: অ্যান ইন্টারন্যাশনাল পারসপেকটিভ, টু ট্র্যাডিশনস অব দ্য বেঙ্গলি ল্যাংগুয়েজ। তাঁর বাংলায় লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের পত্র, ক্যারোলাইন প্রাটের আই লার্ন ফ্রম চিলড্রেন (বাংলা অনুবাদ (১৯৫৫)), যে দেশ মনে পড়ে (১৯৫৭, ভ্রমণকাহিনি), হেলেন কেলারের লেখা মাই টিচার (বাংলা অনুবাদ: হেলেন কেলার আমার শিক্ষক)। এ ছাড়া সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাস চাঁদের অমাবস্যা ও নাটক তরঙ্গভঙ্গ তিনি বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। স্বামী আনোয়ার দিলের সঙ্গে যৌথভাবে লিখেছেন উইমেন্স চেঞ্জিং পজিশন ইন বাংলাদেশ: ট্রিবিউট টু বেগম রোকেয়া, ডেভেলপিং সেকেন্ডারি এডুকেশন ইন ওয়েস্ট পাকিস্তান। তাঁদের ৪০ বছরের যৌথ গবেষণার ফসল ইংরেজিতে রচনা করা ৭৭৬ পৃষ্ঠার গ্রন্থ বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ মুভমেন্ট অ্যান্ড ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ। | 222,603 |
সাইফুর রহমান, বরিশাল | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:২৩ | ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:২৮ | দখল,বরিশাল,বরিশাল বিভাগ | 0 | জেল খালে অপরিকল্পিত সেতু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1414526 | বরিশাল মহানগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জেল খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। খাল খনন ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নিচ্ছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু খনন ও সংস্কারের আগেই সেই খাল দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে অপরিকল্পিত সেতু। সিটি করপোরেশনের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের জন্য কোনো ধরনের অনুমতি নেওয়া হয়নি।স্কুলের দোহাই দিয়ে ওই সেতু নির্মাণ করছে শের-ই-বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করার কারণে অনুমতি নেওয়া হয়নি।বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুন্নেছা প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলের সামনে সড়ক আছে ঠিকই। কিন্তু বেশ কিছু শিক্ষার্থী খালের ওপার থেকে আসে। ওই সব শিক্ষার্থীর আসার সুবিধার জন্য স্কুলবরাবর খালের ওপর ওই সেতু নির্মিত হচ্ছে।শের-ই-বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মো. আক্তার হোসেন বলেন, এই বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তা ছাড়া উত্তর দিক থেকে শিক্ষার্থীদের আসার জন্য বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে নথুল্লাবাদ এবং পূর্ব দিকে মধুমিয়ার পুল রয়েছে। ওই দুই সেতু এবং সামনের সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। তারপরও বিদ্যালয়ের পেছন দিকের খালের ওপর সেতু নির্মাণের কোনো প্রয়োজন নেই।সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের নথুল্লাবাদ থেকে কয়েক শ গজ পুবদিকে জেল খালের ওপর সেতু নির্মাণ করছে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ রোডে অবস্থিত শের-ই-বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে খালের দুই পাড়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট প্রশস্ত ঢালাই দিয়ে দুটি প্রাচীর তোলা হয়েছে, যা খালের পানি থেকে মাত্র দুই-তিন ফুটের বেশি উঁচু হবে না। খালের মধ্যে আরও একটি প্রাচীর তোলা হবে, এমন তথ্য দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ওপর বালু, রড, সিমেন্টের তৈরি ব্লক দিয়ে সেতু নির্মাণ করা হবে। স্কুলের পেছনেই চলছে ব্লক নির্মাণের কাজ।বরিশাল সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মোতালেব বলেন, খালের ওপর সেতু নির্মাণ করার আগে খালের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় কি না, সেতুর উচ্চতাসহ অন্যান্য দিক বিবেচনায় নিতে হবে। সে জন্যই নগরের যেকোনো খালের ওপর ব্যক্তি উদ্যোগে সেতু নির্মাণ করলেও সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। জেল খালের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করলেও তারা কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি।বরিশাল নগরের খাল জলাশয় রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন অভিযোগ করেন, ‘আমাদের দাবি ছিল জেল খাল খনন করে খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনা। নগরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেল খালসহ অন্য খালের পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। খাল খননে আশ্বাস দিয়েছে সিটি করপোরেশন। খাল খননের আগ মুহূর্তে স্কুলের দোহাই দিয়ে অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটাও খাল দখলের মতোই। করপোরেশনের কাছে অনুরোধ, খাল খননের আগে যেন কোনো ধরনের সেতু নির্মাণ করা না হয়।’এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শের-ই-বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন-অর রশীদ বলেন, বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ওই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে খাল দখল বা ভরাট করা হয়নি। স্কুলবরাবর খালের দুই পাড়ে দুটি প্রাচীর তোলা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে ওই দুটি প্রাচীর নিচু মনে হলেও ওর ওপরে আরও এক ফুট উঁচু করা হবে। এরপর খালের মাঝবরাবর লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তার ওপরে ব্লক দিয়ে তৈরি হবে সেতু। ওই সময় আর কোনো অসুবিধা হবে না।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জেল খাল দখলমুক্ত করেছি। খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে খাল খননে ২৩০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নগরের খালের ওপর কালভার্ট করা বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে কোনো অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। আগে খাল খনন, তারপর অন্য কাজ। ওই নির্মাণকাজ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজন থাকলে সিটি করপোরেশন সেতু নির্মাণ করে দেবে।’ | 352,350 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ আগস্ট ২০১৬, ০০:০২ | ০৭ আগস্ট ২০১৬, ০০:০৩ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/937786 | সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘শিক্ষণ পদ্ধতি ও গভর্নেন্স’ শীর্ষক কর্মশালা সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পরিচালিত হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহানসমেন্ট প্রজেক্টের (হেকেপ) আওতায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আইন বিভাগের উপদেষ্টা মহিউদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মো. নুরুল মোস্তফা। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা সরওয়ার জাহান, সহ–উপাচার্য শরীফুজ্জামান, অধ্যাপক এ জে এম নুরুদ্দীন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মনতাজুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায় বিভাগের প্রধান ইসরাত জাহান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান আলী আশরাফ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। | 247,522 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৫, ১৫:৪২ | ০৩ অক্টোবর ২০১৫, ১৫:৪৩ | দুর্ঘটনা | 0 | গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে আহত ১ জনের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/645286 | রাজধানীর কাফরুলে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত জাহিদ (১৪) আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছে।গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিস্ফোরণে ওই পরিবারের ছয়জন সদস্য দগ্ধ হন। বাকি ৫ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। জাহিদের বাবা দেলোয়ার হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আজ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।আবাসিক চিকিৎসক পার্থ সংকর পাল বলেছেন, জাহিদের শরীরের ৪১ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ওই পরিবারের বাকিরাও আশঙ্কামুক্ত নন। | 173,059 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৫৮ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০০ | বিনোদন,বলিউড | null | মধ্যরাতে অটোরিকশায় | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/328630 | ‘অ্যাই অটো, যাবে।’ যাত্রীর হাঁক শুনে অটোরিকশা থামাতেই চালকের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার কথা। যাত্রী যে আর কেউ নয়, স্বয়ং হৃতিক রোশন! গত শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে হুট করে নষ্ট হয়ে যায় বলিউড তারকার গাড়ি। এরপর অটোরিকশায় করে ফিল্ম সিটি থেকে মুম্বাইয়ের জুহুতে নিজের ঘরে ফিরেছেন হৃতিক।গাড়ির চাকা পাংচার হওয়ায় বেশ বেকায়দায় পড়েছিলেন হৃতিক। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা আশপাশে হন্যে হয়ে মটর মেকানিক খুঁজছিলেন। কিন্তু সময় নষ্ট না করে লাফ দিয়ে এক অটোতে চেপে বাড়ি ফেরেন হৃতিক। বলিউডের সফল সুপারহিরো ‘কৃশ’কে এভাবেই উদ্ধার করেছেন এক সাধারণ চালক। কদিন আগে একটি টিভি বিজ্ঞাপনে দৃশ্যের প্রয়োজনে অটোতে চড়লেও সত্যি সত্যি এভাবে তিন চাকার এই গাড়িতে চড়া হয় না তাঁর বহুদিন। অটোতে চড়ে হৃতিক তাঁর কলেজের দিনগুলোতে ফিরে গিয়েছিলেন বলে জানালেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, অটোচালক নাকি চিনতেই পারেননি স্বয়ং কৃশকে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি! টিওআই। | 95,960 |
মোস্তাফিজুর রহমান | education | শিক্ষা | ১৬ আগস্ট ২০১৩, ০০:০১ | ১৫ আগস্ট ২০১৩, ২২:৫৭ | পড়াশোনা | 0 | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | http://www.prothom-alo.com/education/article/39076 | শূন্যস্থান পূরণ প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয় থেকে অধ্যায়ভিত্তিক শূন্যস্থান পূরণ দেওয়া হলো।অধ্যায়-১৩১৪. নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র —টি।উত্তর: ৫।১৫. বাংলাদেশ — নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।উত্তর: দুবার।১৬. জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো — বাহিনী নেই।উত্তর: সামরিক।১৭. আন্তর্জাতিক আদালত মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা নিয়ে বাংলাদেশের একটি বিরোধের রায় দেয় — সালে।উত্তর: ২০১২।১৮. জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম —।উত্তর: বান কি মুন।১৯. বিশ্বের শিশুদের উন্নয়নে কাজ করে —।উত্তর: ইউনিসেফ।২০. ইউনেস্কোর সদর দপ্তর ফ্রান্সের — অবস্থিত।উত্তর: প্যারিসে।২১. খাদ্য হচ্ছে মানুষের প্রধান — চাহিদা।উত্তর: মৌলিক।২২. প্রতিবছর — এপ্রিল তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়।উত্তর: ৭ ই। সিনিয়র শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | 9,741 |
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ মার্চ ২০১৭, ০২:২৭ | ২০ মার্চ ২০১৭, ০২:২৯ | সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,রাজনীতি | 0 | সম্মেলন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1114030 | সিরাজগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে মো. আমিনুল ইসলামকে সভাপতি এবং গাজী মির্জা ফারুক আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের ভাসানী মিলনায়তনে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বাহাউদ্দিন ও নুরুল ইসলাম। | 304,535 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ আগস্ট ২০১৭, ০৭:৫৮ | ০১ আগস্ট ২০১৭, ০৭:৫৮ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | যুক্তরাজ্যগামী কনটেইনারে ঘুমন্ত শ্রমিক! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1272781 | মধ্যরাত থেকে কনটেইনারের ভেতরে হ্যাঙ্গারে পোশাক ঝোলানোর কাজ করছিলেন বাবুল ত্রিপুরা। কাজ শেষে ভোরের দিকে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এর মধ্যে কনটেইনারটি সিলগালা করে তা প্রাইম মুভার ট্রেইলারে (কনটেইনারবাহী গাড়ি) তুলে দেওয়া হয়। ঠিক তখনই ঘুম ভাঙে বাবুলের। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। হাত দিয়ে কনটেইনারের দরজায় একের পর এক আঘাত করেন। এভাবে এক মিনিট, দুই মিনিট করে কত সময় পার হয়েছে, তা আর মনে নেই তাঁর।সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির ডিপো থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর ফটকের সামনে এসে থামে প্রাইম মুভার ট্রেইলারটি। ফটকের সামনে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের একজন ট্রেইলারের থাকা কনটেইনারের ভেতরে কিছু নাড়াচাড়া করার শব্দ শুনতে পান। বিষয়টি দ্রুত বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান তিনি। পরে কনটেইনার খুলে বাবুল ত্রিপুরাকে প্রায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রপ্তানি পণ্য (পোশাক) বোঝাই এই কনটেইনারটি সীতাকুণ্ডের কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড ডিপো থেকে বন্দর দিয়ে জাহাজে করে যুক্তরাজ্য নেওয়া হচ্ছিল।বন্দর হাসপাতালের চিকিৎসক দেবাশীষ রায় প্রথম আলোকে বলেন, গরমের কারণে পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন বাবুল। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।বন্দর ও ডিপোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাবুল ত্রিপুরা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা কনটেইনারের ভেতরে আটকে ছিলেন। এ ঘটনার মাত্র পাঁচ দিন আগে ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায়।চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল গাফফার প্রথম আলোকে বলেন, এই শ্রমিককে উদ্ধার করা না গেলে দেশের বড় ক্ষতি হতো। এতে পোশাকশিল্পও ভাবমূর্তির সংকটে পড়ত। চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম ক্ষুণ্ন হতো।বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে পণ্যবোঝাই ও শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ করে প্রাইম মুভার ট্রেইলারে করে বন্দরে এনে সরাসরি জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ ফুট লম্বা এই কনটেইনারটি গতকাল ভোরে যখন সিলগালা করা হয়, তখন তখন কাস্টমসের কেউ সেখানে ছিলেন না বলে জানান ডিপোতে নিয়োজিত শ্রমিকদের মাঝি (সর্দার) মিলন ত্রিপুরা। | 329,968 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:০২ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৫:০৩ | বিশাল বাংলা | 0 | পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1091623 | ‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার, নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গীকার’ স্লোগান নিয়ে টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে গতকাল রোববার পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদত হোসেন, উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা প্রমুখ। টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | 297,752 |
প্রতিনিধি, বিরামপুর, দিনাজপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ মে ২০১৮, ১৭:৪২ | ২০ মে ২০১৮, ১৭:৪৪ | আইন ও বিচার | null | পুলিশি তৎপরতায় মায়ের কোলে আলফি ও শাফি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1492996 | অবশেষে তিন দিন অজ্ঞাত স্থানে থাকার পর পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে দুই বোন আলফি (৭) ও শাফি (৫)। উদ্ধারের পর বিরামপুর থানা-পুলিশ আজ রোববার দুপুরে মা লাকী আক্তারের কাছে তাদের হস্তান্তর করেছে।পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে এই দুই শিশুর বাবা সেলিম মিয়া ও ফুপা হবিবর রহমান পলাতক রয়েছেন।বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সবুর প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাতে প্রথম আলো অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর দিনাজপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ফুলবাড়ী এবং পার্বতীপুর থানার পুলিশের চারটি দল ওই শিশু দুই বোনকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।ওসি জানান, প্রযুক্তির সাহায্যে সেলিম মিয়া ও হবিবর রহমানের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশের অভিযান চলতে থাকে। রাত ১২টার দিকে ট্রেনে করে দুই মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার খবর আসে পুলিশের কাছে। সেখানে অভিযানের আগেই সটকে পড়েন সেলিম মিয়া। শেষে আজ রোববার ভোরে সেলিম মিয়ার গ্রামের বাড়ির কাছে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। সেখানে অভিযানে গেলে সেলিম মিয়া দুই মেয়েকে রেখে পালিয়ে যান। শিশু দুই বোন আলফি ও শাফিকে নিয়ে শনিবার রাতে প্রথম আলো অনলাইনে ‘কী ঘটেছে দুই বোনের ভাগ্যে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।দিনাজপুরের পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সংবাদটি দেখার পর এই দুই শিশুকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেহেতু সেলিম মাদকাসক্ত তাই পুলিশ বেশ উদ্বিগ্ন ছিল। শিশু দুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে তাঁরা আনন্দিত। | 364,481 |
পলাশ বড়ুয়া, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ মার্চ ২০১৭, ০০:৪৫ | ২২ মার্চ ২০১৭, ০০:৪৬ | দীঘিনালা,খাগড়াছড়ি,বিশাল বাংলা | 0 | দীঘিনালার শতাধিক গ্রামে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1115647 | খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শতাধিক গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে। এসব গ্রামের বাসিন্দারা ছড়া ও কুয়ার পানি পান করেন। এই পানিতে পোকা মরে থাকে। আবর্জনা থাকে। যে কারণে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে প্রায় সারা বছরই ভুগছে মানুষ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বেশির ভাগ গ্রামে মাটির নিচে পাথর থাকায় নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না।উপজেলার ৫ নম্বর বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুগতপ্রিয় চাকমা বলেন, তাঁর ইউনিয়নের গ্রাম রয়েছে ৪৪টি। এর মধ্যে ১৮টি গ্রামেই কোনো নলকূপ নেই। বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কাছে তদবির করেও গভীর নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।কবাখালী ইউনিয়নের হাজাছড়া জোড়াব্রিজ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল কান্তি চাকমা বলেন, বিদ্যালয়ে ১৯৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশে একটি পাতকূপের নলকূপ থাকলেও পানিতে দুর্গন্ধ। শিক্ষার্থীরা কুয়ার পানি পান করে।জোড়াব্রিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিরোহিত দেওয়ান বলেন, বিদ্যালয়ে ১৬৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশে একটি নলকূপ থাকলেও সেটি অকেজো, পানি উঠে না।মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও নয় মাইল এলাকার বাসিন্দা গণেশ ত্রিপুরা বলেন, তাঁর ওয়ার্ডে ১২টি গ্রামের ৬টিতেই নলকূপ নেই।সরেজমিনে উপজেলার জাম্বুরাপাড়া, ভেতর তারাবনীয়া, হাজাছড়া জোড়া ব্রিজ, শুকনাছড়ি, দশ নম্বর নতুনপাড়া, রথিচন্দ্র কার্বারীপাড়া, সীমানাপাড়া, জিরক পাড়া, হেমনপাড়া, নয় মাইলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ গ্রামে জমির পাশে কুয়া খনন করে সেই পানি পান করে মানুষ।সীমানাপাড়া গ্রামের প্রধান (কার্বারী) চয়ন ত্রিপুরা বলেন, গ্রামের শতাধিক পরিবার ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা ৩০০ ফুট নিচে পাহাড়ি ছড়ার পানি।জোড়াব্রিজ এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য অমিয় বিকাশ চাকমা বলেন, দেড় শতাধিক পরিবার কুয়ার পানিই পান করে।শুকনাছড়ি গ্রামের প্রধান (কার্বারী) সুরেশ বিহারী চাকমা বলেন, গ্রামের কোনো না কোনো পরিবারে ডায়রিয়ার রোগী থাকবেই।রথিচন্দ্র কার্বারীপাড়া এলাকার পলেন ত্রিপুরা, বুজেন্দ্র ত্রিপুরা, জাম্বুরাপাড়ার সমাপ্তি চাকমা, পূর্ণদেবী চাকমা, জোড়াব্রিজ এলাকার সুখী চাকমা, প্রার্থনা চাকমা জানান, পাহাড়ি গ্রামের নলকূপ স্বপ্নের মতো। তাঁরা যুগ যুগ ধরে ছড়া ও কুয়ার পানি পান করে আসছেন। ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হলেও কোনো উপায় নেই। বাধ্য হয়ে ছড়া ও কুয়ার পানিই পান করতে হয়।উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, দুর্গম অনেক এলাকায় নলকূপ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মাটির নিচে পাথর থাকায় নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে কুয়া বা ঝরনার পানি সংগ্রহ করে সরবরাহ করলে সমস্যাটা দূর হতো। কিন্তু এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে বরাদ্দ নেই।এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা বলেন, উপজেলার শতাধিক গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা থাকলেও তা সমাধানের ক্ষমতা ও অর্থ পরিষদের নেই। দুর্গম এলাকার মানুষের সুপেয় পানির সমস্যা দূর করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। | 305,358 |
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় | opinion | মতামত | ০৪ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৩ | ০৪ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৩ | সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়,মতামত,আন্তর্জাতিক,দিল্লির চিঠি,লেখকের কলাম | null | আইডিয়ায় মোদি এক নম্বরে, রূপায়ণ হবে তো? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/336940 | ভারতের গত ১০ দিনের খবরের কাগজগুলোর প্রথম পৃষ্ঠায় চোখ রাখুন। কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদ সম্প্রচার স্মরণ করুন। দেখবেন, একটি নামই জ্বলজ্বল করেছে, একজনের খবরই হেডলাইনসে প্রাধান্য পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা তো কাগজের বেশিটাই মোদি-বন্দনায় ভরিয়ে রেখেছেন। যাঁরা তাঁকে ততটা নেকনজরে দেখেন না, তাঁরাও কিন্তু মোদিকে উপেক্ষা করতে পারছেন না। চাঁদ সওদাগরের মনসাপূজার ঢঙে তাঁরাও মোদিকে প্রচারমাধ্যমে জায়গা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরটাই দেখা যাক। দিল্লির বদলে মোদি তাঁকে আহমেদাবাদে নামালেন। সেদিন মোদির জন্মদিন। জিনপিং ও মোদি সবরমতী নদীর তীরে গান্ধী আশ্রমে বহুক্ষণ কাটালেন। জিনপিংকে মোদি চরকায় সুতো কাটা শেখালেন, নদীর তীরে দুজনে দোলনায় দুললেন এবং পরের দিন দিল্লি এলেন দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তখন দিল্লিতে। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় মোদি বললেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন, শেখ হাসিনা দেশটাকে রক্ষা করেছেন।’ পরিবর্তিত জামানায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কোন খাতে বইতে চলেছে, এই একটা বাক্যই তার ইঙ্গিতবাহী। এটাও প্রথম পাতার খবর হলো। এরপর মোদি গেলেন মার্কিন মুলুকে। এক যুগ অচ্ছুত থাকার পর মোদির সেই সফর নিয়ে যে কোলাহল সৃষ্টি হয়েছে, তার রেশ সংবাদমাধ্যম থেকে এখনো মিলোয়নি। ম্যাডিসন স্কয়ারে মোদির ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে শুরু করে বারাক ওবামার গুজরাটি সম্ভাষণ ‘কেম ছো (কেমন আছেন) প্রাইম মিনিস্টার?’ নিয়ে এখনো গবেষণার শেষ নেই। দুই দেশের সম্পর্ক কোন উচ্চতায় পৌঁছাল এবং জাপান ও চীনের দিকে অনেকটাই ঝুঁকে পড়া ভারতকে আমেরিকা তাদের দিকে কতখানি টেনে আনতে পারবে, সে নিয়ে অন্তহীন গবেষণা চলছেই। এখানেও সংবাদমাধ্যম মোদিময়।ভারত-আমেরিকা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আগামী দিনে পাঁচ গুণ বাড়াতে মোদি ও ওবামা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। সেই লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে একটা লগ্নি-উদ্যোগ স্থাপনে দুই নেতা রাজি হয়েছেন। আজমির, বিশাখাপট্টনম ও এলাহাবাদকে ‘স্মার্ট সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পমহল রাজি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দুই দেশ একজোট হয়ে কাজে নামার বিষয়েও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। এ জন্য যা যা করণীয়, আগামী দিনগুলোতে তা করা হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ২০০৫ সালে যে বোঝাপড়া দুই দেশের মধ্যে হয়েছিল, তা আরও ১০ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এসব বিষয়ের পাশাপাশি সন্ত্রাস রোধে (দাউদ ইব্রাহিমসহ) একসঙ্গে কাজ করার যৌথ প্রচেষ্টা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রশ্নে সহমত হওয়া (যদিও আইএস মোকাবিলায় ভারত সেনা পাঠাবে না জানিয়ে দিয়েছে) মোদির এই সফরের বড় লাভ। কিন্তু এটাও ঠিক, এত মাখামাখি সত্ত্বেও মোদি কিন্তু ওবামার সব সুরে নাচেননি। বাণিজ্য প্রসারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শর্তাবলি মোদির সরকার এখনো মানেনি। খাদ্য সুরক্ষার প্রশ্নে তিনি এখনো অনড়। তেমনই পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণের জন্য ভারতীয় আইন নিয়ে যে টালবাহানা দীর্ঘদিন ধরে চলছে, তার সুরাহাও এই সফরে হয়নি। মীমাংসার জন্য একটা ‘কনট্যাক্ট গ্রুপ’ গঠনে দুই দেশ রাজি হয়েছে শুধু। তাতে চিড়ে ভিজবে কি না কিংবা ভিজলেও কবে, সে এক জটিল প্রশ্ন।ফল যা-ই হোক, মোদি যে অন্য সবার চেয়ে অন্যভাবে চিন্তা করতে পারেন, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘আউট অব দ্য বক্স আইডিয়া’ এবং প্রচারের আলোকে অতি সহজে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারেন, তার প্রমাণ তিনি বারবার দিচ্ছেন। জাতিসংঘে তিনি ভাষণ দিলেন হিন্দিতে। লিখিত ভাষণের গণ্ডি টপকে বারবার তিনি বক্তব্যের বাড়তি ব্যাখ্যা দিলেন। ইংরেজি ভাষায় তিনি ততটা দক্ষ নন। কিন্তু সেই খামতিকে তিনি কমজোরি ভাবতে নারাজ। ইংরেজির জ্ঞান সীমিত হলে যাঁরা লজ্জা পান, মোদি সেই দলভুক্ত নন; বরং সেই দুর্বলতাকেই তিনি তাঁর হাতিয়ার করে তুলেছেন। তুখোড় ভাষণের মাধ্যমে তিনি অনায়াসে সাধারণের মন ছুঁয়ে যাচ্ছেন। কীভাবে এবং কোন সাবলীলতায় ভর দিয়ে তিনি জনতার সঙ্গে ‘কানেক্ট’ করছেন, ম্যাডিসন স্কয়ারের দীর্ঘ বক্তৃতাই তার প্রমাণ। এভাবে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ভাষণ দিতেন অটল বিহারি বাজপেয়ি। মোদি সেই দক্ষতার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তাঁর ‘মার্কেটিং স্কিল’কে। আজকের দিনে নিজেকে কীভাবে ‘প্রজেক্ট’ করতে হবে, কীভাবে মানুষকে শুনতে বা ভাবতে বাধ্য করাতে হবে, মোহিত করতে হবে, মোদিকে দেখে তা শেখা দরকার। সাধারণ নির্বাচনের আগে-পরের ছয় মাসে মোদি বারবার তার প্রমাণ রেখেছেন এবং এখনো প্রতিনিয়ত রেখে যাচ্ছেন।এই যেমন মার্কিন মুলুক থেকে দেশে ফিরে মোদি কিন্তু বিশ্রামের ধার-কাছ দিয়েও হাঁটলেন না। ফিরলেন ১ অক্টোবর, পরের দিন জাতির জনকের জন্মদিন। সেদিন সকাল থেকে কাজ আর কাজ। গান্ধীজি স্বচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিতেন। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে ভাষণে মোদি ২ অক্টোবরের জন্য দেশবাসীর কাছে একটা নতুন ‘এজেন্ডা’ রাখলেন। স্বচ্ছতা দিবস। গোটা দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জঞ্জালমুক্ত করা ও রাখার একটা অঙ্গীকার তিনি আদায় করে নিলেন। কী করলেন তিনি? আমরা দেখলাম, সাতসকালেই তিনি ঝাড়ু হাতে নেমে পড়লেন। গান্ধীজি ‘মেথর’দের ডেকেছিলেন ‘হরিজন’ বলে। তাদের কলোনির নাম ক্রমে ক্রমে ‘বাল্মীকি কলোনি’ বলে পরিচিত হয়। মোদি সেই কলোনিতে ঢুকে ঝাড়ু চালাতে লাগলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ঝাড়ু হাতে সাফাই অভিযানে নেমে পড়ল গোটা দেশ। মন্ত্রীরা, নেতারা, আমলারা, শিল্পপতিরা, নায়ক-নায়িকারা এবং নামী-অনামী সাধারণ মানুষ উত্তর থেকে দক্ষিণে, পুব থেকে পশ্চিমে দিনভর ঝাড়ু হাতে রাস্তা থেকে, নালা থেকে জঞ্জাল তুলছেন, এমন দৃশ্য আমি কেন, সম্ভবত কেউই কখনো দেখেনি। মোদি বিভিন্ন ভাষণে বারবার বলেছেন, স্বচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতাকে তিনি জাতীয় আন্দোলনের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান। এবং সেই আন্দোলনে তিনি রাজনীতিকে মেলাতে চান না। বলতে দ্বিধা নেই, সেই লক্ষ্যের প্রথম ধাপে তিনি সফল। পরবর্তী পর্যায়ে কী হবে, সে বিষয়ে প্রশ্নচিহ্ন যদিও থেকেই যাচ্ছে।প্রথম ধাপে কেন সফল? চিরায়ত রাজনীতির ঘেরাটোপের বাইরে বেরিয়ে মোদি সমাজের বিভিন্ন পেশার নয়জন বিশিষ্ট মানুষকে এই আন্দোলনের শরিক হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সেই নয়জন হলেন সিনেমা জগতের দিকপাল কমল হাসান, সালমান খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, যোগগুরু বাবা রামদেব, শিল্পপতি অনিল আম্বানি, ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, গোয়ার রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহা, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ও জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’র পুরো টিম। এই নয়জনের প্রত্যেকে আরও নয়জন করে মানুষ বাছবেন, তাঁরাও প্রত্যেকে বাছবেন নয়জন করে। এভাবে কোটি কোটি মানুষ শামিল হবেন স্বচ্ছ ভারত গড়ে তোলার আন্দোলনে। মোদি এঁদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা পছন্দমতো জায়গা বেছে নিন। সেখানে নোংরা দেখলে প্রথমে ছবি তুলুন। তারপর সেই জায়গা পরিষ্কার করে ফেলুন। পরিষ্কার জায়গার ছবিও তুলুন। তারপর অপরিচ্ছন্ন ও পরিচ্ছন্ন দুই ছবিই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট করুন। সাত দিন এই কাজ করুন। দেখুন কী বিপুল পরিবর্তন ঘটে যাবে দেশে।মোদির এই আন্দোলনেরই একটা অঙ্গ দেশের প্রতিটি পরিবারের জন্য পায়খানা তৈরি করা। ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারের জন্য ১১ কোটি ১১ লাখ পায়খানা তৈরি হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এ জন্য প্রতিটি গ্রামকে আগামী পাঁচ বছর ধরে বছরে ২০ লাখ রুপি দেবে। দেশের সাড়ে ছয় লাখ গ্রামের জন্য এই কাজে বছরে খরচ হবে ১৩ হাজার কোটি রুপি। স্বচ্ছতা অভিযানে মোদির বাজেট আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি রুপি। এই অর্থের মধ্যে ২০১৫ সালে শহরাঞ্চলে তৈরি হবে দুই কোটি পায়খানা, খরচ হবে ৬২ হাজার নয় কোটি রুপি। ২০১৯ সালের মধ্যে এক কোটি চার লাখ বাড়িতে তৈরি হবে কলঘর ও পাকা পায়খানা। ওই বছরের মধ্যে চার হাজার ৪১টি শহরে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বন্দোবস্ত করা হবে। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানে মাথায় করে মলমূত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। এখন দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত এলাকায় মলমূত্র ত্যাগ করে। দেশের ১০ শতাংশ স্কুলে এখনো মেয়েদের টয়লেট নেই। ২০২২ সালের মধ্যে এই অসুবিধে পুরোপুরি দূর করা মোদির লক্ষ্য।সংবাদমাধ্যমে স্থান পাওয়া নিয়ে নরেন্দ্র মোদির এই ‘পাকাপাকি বন্দোবস্ত’র প্রধান কারণ তাঁর অন্য ধরনের ভাবনাচিন্তা, যা আমি আগেই ‘আউট অব দ্য বক্স আইডিয়া’ বলে লিখেছি। পরিচ্ছন্নতার প্রশ্নে তিনি রাজনীতি আনবেন না বলেছেন। না আনতেই পারেন। কিন্তু আশঙ্কা, দিনান্তে এই কর্মযজ্ঞ নিছকই ছবি তোলার মোচ্ছবে না পরিণত হয়। তেমন হলে পুরোটাই রাজনৈতিক ‘গিমিক’ হয়ে দাঁড়ালে এই ‘আউট অব দ্য বক্স আইডিয়াই’ শেষ পর্যন্ত প্রবল পরিহাস হয়ে মোদিকে ধাওয়া করবে। দি এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের (টেরি) হিসাব অনুযায়ী, ভারতের শহরগুলোতে প্রতিবছর ৬৮ মিলিয়ন টন জঞ্জাল জমে। এর মধ্যে ২৭ মিলিয়ন টন জমি ভরাটের কাজে লাগানো হয় অথবা গ্রামীণ এলাকায় ফেলা হয়। ১৪ মিলিয়ন টন শহরেই পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ৩৮ বিলিয়ন লিটার তরল বর্জ্য দেশের ৪৯৮টি শহর ২০০৯ সালে উৎপন্ন করেছে। এর মধ্যে ২৬ বিলিয়ন লিটারের স্থান হয়েছে দেশের নদীগুলোতে! দেশকে পরিচ্ছন্ন করতে গেলে শুধু ঝাড়ু হাতে পথে নামাই শেষ কথা নয়; শেষ কথা হলো এই বিপুল কঠিন ও তরল বর্জ্যের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার বন্দোবস্ত করা। সে জন্য যে পাহাড়প্রমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার জোগাড় কোন গৌরী সেন দেবেন, তা এখনো অজানা।তিনি যে বসে থাকার পাত্র নন, এই চার মাসে নরেন্দ্র মোদি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মগজে নিত্যনতুন আইডিয়া ঘুরপাক খাচ্ছে। সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমে তিনি সদা আলোচিত। কিন্তু শেষ হিসাবে তাঁকে প্রমাণ দিতে হবে, তিনি শুধু স্বপ্ন দেখিয়েই থমকে যান না, স্বপ্নকে তিনি সাকারও করেন।সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি। | 98,756 |
বিশাল বাংলা ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:২১ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:২২ | বিশাল বাংলা | 0 | রাজনৈতিক বিবেচনায় হত্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/137419 | রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ ও রাজশাহীতে চাঞ্চল্যকর ১০টি হত্যা মামলা ও বেশ কিছু মামলা এবং আসামিদের নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। গত বছরের ২২ আগস্ট এ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে এসব মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:সিরাজগঞ্জ: কাজীপুরের জোড়া খুনের দুই আসামির নাম এবং তাড়াশের একটি অপহরণ মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় প্রত্যাহার করেছে জাতীয় কমিটি।জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ১৭ মার্চ কাজীপুরের মাজনাবাড়ী মৌজার গমখেত দখল করে আব্দুর রাজ্জাক ও শফিকুল ইসলাম অস্ত্র নিয়ে জমিতে প্রবেশ করেন। বাধা দিলে প্রতিপক্ষের জেলহজ মিয়াকে খুন করা হয়। এ ছাড়া ফরহাদ হোসেনকে গুম করে তাঁর লাশ কেটে টুকরো করে যমুনায় ফেলে দেওয়া হয়।এ ঘটনায় জেলহজের ছেলে রহিম একটি হত্যা মামলা করেন। আগে দুই দফায় মামলা প্রত্যাহার না হলেও শেষ বৈঠকে মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে প্রথম আসামি মনসুর নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রাজ্জাক, তাঁর ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুলের নাম প্রত্যাহার করা হয়।জেলা জজ আদালতের পিপি আব্দুর রহমান জানান, প্রত্যাহারের আবেদন যাচাই-বাছাই করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।পাবনা: সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এলাকা পাবনায় খুনের মামলাসহ ছয়টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।একটি খুনের মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাজেম মণ্ডল বাড়ি থেকে মাঠে জমি দেখতে যান। এ সময় চর সাদিপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তাজেমের চাচাতো ভাই খিয়াল সরদার তাঁকে রক্ষার জন্য এগিয়ে যান। এ সময় তাঁর বুকেও গুলি করা হয়। গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। এতে আরও কয়েকজন আহত হয়। স্থানীয় ব্যক্তিরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাজেম ও খিয়াল মারা যান।পাবনার পিপি বেলায়েত আলী জানান, এসব মামলা প্রত্যাহারের জন্য জেলা কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি।নওগাঁ: জেলায় একটি হত্যা মামলা প্রত্যাহার করে মান্দার মৈনম ফকিরপাড়ার এরশাদ আলীর ছেলে অহেদুল ইসলাম ও ওয়ালি হোসেনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম ব্রহানী সুলতান গামার ওষুধের দোকানের সামনে ২০০৬ সালের ৯ অক্টোবর ওই গ্রামের জেকের আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম খুন হন। এ ঘটনায় ব্রহানীর ছোট ভাই আসলাম বাদী হয়ে অহেদুল ও ওয়ালিসহ ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। অহেদুল মান্দার মৈনম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য।জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি শহিদুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ এসেছে।রাজশাহী: ২৫ বছর আগের মামলাও প্রত্যাহার করা হয়েছে রাজনৈতিক মামলাসংক্রান্ত কমিটির শেষ বৈঠকে। ১৯৮৮ সালে রাজশাহী বোয়ালিয়া থানার মামলা হয়েছিল শিবিরের নেতা আসলাম হত্যা নিয়ে। মামলার আসামি করা হয় ৩৩ জনকে। কমিটির ১২তম সভায় মামলা থেকে নয়জনের নাম প্রত্যাহার করা হয়। পরে আসামি জহুরুল ইসলামসহ ২৪ জনের নাম মামলা থেকে প্রত্যাহারের জন্য গত ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়। | 48,320 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৩ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৩ | ১৩ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৩ | এশিয়া | 0 | বিদেশিরা নিষিদ্ধ | http://www.prothom-alo.com/international/article/341650 | শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনী অতীতের গৃহযুদ্ধপীড়িত এলাকায় প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের আজ সোমবারের সফরের সময় সেখানে বিদেশিদের যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের সেনানিয়ন্ত্রিত প্রবেশদ্বার ওমানথাই থেকে বিদেশিদের ইতিমধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক সূত্র গতকাল রোববার এ কথা জানিয়েছে। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, গত শুক্রবার থেকে বিদেশিদের ওপর ওই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে এবং ‘জাতীয় স্বার্থে’ তা জারি করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, ওমানথাই থেকে বিদেশিদের ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ তাদের বাহিনীর লোকেরা করেনি। এএফপি | 100,239 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:৫৯ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:৫১ | গাজীপুর,আইন ও বিচার | 0 | হত্যার ১৮ বছর পর রায়, একজনকে মৃত্যুদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1071235 | গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাঁনপাড়া এলাকায় ১৮ বছর আগে এক নারীকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। খালাস দিয়েছেন তিনজনকে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১–এর বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাঁনপাড়া এলাকার আবুল কালাম ওরফে কালু মিয়া (৬৫)। আর খালাস পাওয়া তিনজন হলেন নাজিম উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন ও ফজলুল হক। নিহত নারী একই এলাকার মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে করিমন নেছা (২৮)।মামলার বিবরণে জানা গেছে, কালু মিয়ার সঙ্গে করিমন নেছার পরকীয়ার জের ধরে করিমন নেছা ও তাঁর স্বামী চাঁন মিয়ার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর করিমন বাবার বাড়িতে থাকছিলেন। ১৯৯৯ সালের ১২ জানুয়ারি করিমন মায়ের সঙ্গে রাগ করে বোনের বাড়িতে চলে যান। সন্ধ্যায় সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। ২৫ জানুয়ারি বাড়ির পাশে একটি পুকুরে কচুরিপানার নিচে করিমন নেছার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় করিমনের ভাই মফিজ উদ্দিন কালু মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৪ সালে ৩ জুন চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ রায় দেন।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আতাউর রহমান খান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন মো. হুমায়ুন কবির। | 288,664 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩৪ | ২৯ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩৪ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),দূর্ঘটনা | 0 | এসি মেরামতকর্মীর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/961033 | রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর এলাকায় তানভীর রহমান (২০) নামের এক শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতকর্মীর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তানভীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রিয়াজুল রহমানের ছেলে। নিহত তানভীরের সহকর্মী মনির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরে তায়াম টাওয়ারের ১৩ তলায় এসি বসানোর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তানভীর। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত নয়টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। | 254,525 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৫৪ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৫৫ | -1 | 0 | অভিবাসনের খরচ নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া উচিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1038591 | আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক ল্যাসি সুইং মনে করেন, বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য কোনো শ্রমিক কাজে যোগ দেওয়ার সময় তাঁর অভিবাসনের খরচ নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি অভিবাসী শ্রমিকের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে পাঠানোর খরচও কমিয়ে আনা উচিত।ঢাকায় অনুষ্ঠানরত অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন জিএফএমডিতে যোগ দেওয়ার ফাঁকে গতকাল রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ল্যাসি সুইং এই মত দেন। তিন দিনের জিএফএমডি সম্মেলন গত শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ল্যাসি সুইং বলেন, অনেক অবৈধ ও দুর্নীতিপরায়ণ নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আছে, যারা শ্রমিকদের আমৃত্যু দাসত্বের পথে নিয়ে যায়। দেখা যায়, একজন অভিবাসীর দুই বছরের আয় রিক্রুটিং এজেন্সির পকেটে চলে যায়। অথচ অভিবাসী ওই শ্রমিকের কোনো খরচই দেওয়া উচিত নয়। এই খরচ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, যাদের জন্য অভিবাসী শ্রমিক কাজ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানেরই বহন করা উচিত।প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) পাঠানোর খরচ কমানোর বিষয়ে আইওএমের মহাপরিচালক বলেন, একজন প্রবাসীকে তাঁর কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করতে হয়। এই হার কমানো উচিত। রেমিট্যান্সের খরচ ৫ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য আইওএম কাজ করছে। এ ছাড়া অভিবাসীদের নিরাপত্তা দেওয়া, তাঁদের অধিকার রক্ষা ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের আওতায় শ্রমশক্তি রপ্তানিকারক দেশগুলোকে একটি আইনগত বাধ্যবাধকতার আওতায় আনার কাজ চলছে বলে জানান ল্যাসি সুইং। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব এমপ্লয়ার্সের সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ল্যাসি সুইং বলেন, এর মাধ্যমে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি মানদণ্ড ও আচরণবিধি নির্ধারণ করা হবে। যারা এটা মানবে তারা টিকে থাকবে, যারা মানবে না তারা ব্যবসা করতে পারবে না। প্রবাসে অভিবাসীদের নাজুক মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, গত এক বছরে কেবল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে চোরাচালানি অথবা মানব পাচারকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৬৯০ জন অভিবাসী। তিনি নিশ্চিত, বিশ্বজুড়ে এর পরিমাণ আরও অনেক বেশি। অভিবাসনের ক্ষেত্রে এই যে চড়া মূল্য, এর দিকেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত।মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের সাম্প্রতিক সমস্যার সমাধান নিয়ে ল্যাসি সুইং বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা। তাই মানবিক বিষয় নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলো এর সমাধান দিতে পারবে না। | 273,680 |
মইনুল ইসলাম | opinion | মতামত | ২৩ মার্চ ২০১৯, ১১:২৭ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৩০ | রাজনীতি,মইনুল ইসলাম | null | দুর্নীতির বিরুদ্ধে চাই ‘জিরো টলারেন্স’ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1584840 | ১০ মার্চ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একটি গোলটেবিল সংলাপে বিশেষজ্ঞ আলোচকেরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রণীত ‘বিশেষ বিধান আইন’ বাতিল করে সরকারি ক্রয়নীতি (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস—পিপিআর) অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। কারণ, এই বিশেষ বিধানের অপব্যবহার করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। সংলাপ অনুষ্ঠানের সভাপতি অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের ভাষায়, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের দরপ্রক্রিয়া, উৎপাদন, সরবরাহ ও মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা উচিত। কেননা প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে এসব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়েছেন।’ সংলাপে বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎ খাতের ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিলের তাগিদই দিয়েছেন ‘বিশেষ বিধান’ বাতিলের দাবির মাধ্যমে।স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০৯ সালে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের মহাসংকট কাটিয়ে উঠতে জরুরি ভিত্তিতে মহাজোট সরকার স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় যে অনেকগুলো রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছিল, সেগুলোর উদ্যোক্তা বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নির্মাণব্যয় অস্বাভাবিক রকমের বেশি ধরা হয়েছে বলে ওগুলোর নির্মাণপর্বেই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিল। ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল ব্যবহারকারী এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়েছে ১৪-১৬ টাকা। এই উদ্যোক্তাদের বাছাই প্রক্রিয়া যেহেতু আশু সংকট নিরসনের যুক্তিতে নিয়মানুগ টেন্ডার পদ্ধতিতে হয়নি, তাই এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে আইনের প্রয়োগ ঠেকানোর জন্য একটা ‘দায়মুক্তির আদেশ’ জারি করা হয়েছিল। সেটা ১০ বছর পর এখনো বহাল রাখা হয়েছে কী যুক্তিতে?উপরন্তু এ ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি এখনো অব্যাহত রয়েছে তা হলো বিদ্যুতের বিক্রয় দামের দ্বিগুণের বেশি উৎপাদন খরচ পড়া সত্ত্বেও অনেকগুলো রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট থেকে সরকার কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত বিদ্যুৎ ক্রয়ের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ওই প্ল্যান্টগুলো থেকে দ্বিগুণ দামে এখনো বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে। অথচ কথা ছিল পাঁচ বছরের বেশি এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবহার করা হবে না। ওই সময়ের মধ্যে মধ্যমেয়াদি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন শুরু করবে বলা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রায় সব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল প্ল্যান্টের মালিক তাঁদের কেন্দ্র থেকে পিডিবি যাতে বিদ্যুৎ ক্রয় অব্যাহত রাখে, তদবির করে সেই ব্যবস্থা নবায়ন করে চলেছেন। এই তদবির–প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ সম্পর্কে প্রায়ই খবর প্রকাশিত হচ্ছে। অভিযোগটা যে অমূলক নয়, তা বোঝা যায় এই দ্বিগুণ দামে বিদ্যুৎ কেনার জন্য সরকারি খাতের দক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অযৌক্তিকভাবে বন্ধ রাখায়। এর খেসারত দিতে হচ্ছে জনসাধারণকে, কারণ কিছুদিন পরপর লোকসানের অজুহাতে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েই চলেছে। বিদ্যুতের মহাসংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য মহাজোট সরকারকে সাধুবাদ দিতে হয়, কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও স্মরণ করা উচিত যে এই সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পুঁজি লুণ্ঠনের মহাযজ্ঞ।উল্লেখ্য, ২০০১-০৬ মেয়াদের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন খাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ওই পাঁচ বছরে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন টঙ্গীর ‘পিকিং প্ল্যান্ট’ ছাড়া আর এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। এই চরম ব্যর্থতার ফলে ২০০১ সালে যেখানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল প্রায় ৪ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট, তার তুলনায় ২০০৯ সালে যখন বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়ে মাত্র ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছিল। কারণ, ওই সময়কালে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। ওই সময়ের ভয়াবহ লোডশেডিং জনজীবনে কী দুঃসহ অবস্থার সৃষ্টি করেছিল এবং অর্থনীতিকে কীভাবে জিম্মি করে রেখেছিল, তা ভুলে যাওয়া কঠিন। স্বস্তির বিষয়, ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমানে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার ফলে গত ১২ বছরে বাংলাদেশ এই গুরুতর বিদ্যুৎ–সংকট কাটিয়ে উঠেছে। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা এখন ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।কিন্তু মহাজোট সরকারের আমলে গৃহীত প্রতিটি প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পর প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত ব্যয় বিশ্বের মধ্যে ‘সর্বোচ্চ প্রকল্প ব্যয়ের’ তকমা পেয়ে যাচ্ছে। ঢাকার মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ‘প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ’ (পিপিপি) প্রকল্পের অধীনে। ওই প্রকল্পের চূড়ান্ত খরচ প্রাক্কলিত ব্যয়ের কয়েক গুণ বেড়েছে। এভাবে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে ফ্লাইওভার ও সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ। মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর নির্মাণব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে টোলহার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং জনগণকে তার মাশুল দিতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে সম্পন্ন ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রতিটি উড়ালসড়কের নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলিত ব্যয়ের তিন-চার গুণ বেশি হয়েছে দুর্নীতি ও পুঁজি লুণ্ঠনের কারণেই।ঢাকা থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মানে, এই এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় দাঁড়াবে ৭০৪ কোটি টাকা। এটা বিশ্বে এ রকম প্রকল্পের জন্য কিলোমিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর বণিক বার্তার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে নির্মীয়মাণ ৩০ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যয় পড়ছে কিলোমিটারপ্রতি ২০৭ কোটি টাকা। আর ভারতের বেঙ্গালুরুর ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ হোসুর রোড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বিলম্বের কারণে ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পরও প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়েছে ২০৩ কোটি টাকার মতো।আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কিলোমিটারপ্রতি ৭০৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত নির্মাণব্যয়কে ‘ভীষণ রকমের অস্বাভাবিক’ অভিহিত করে বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হক বলছেন, ‘অবকাঠামোগত কিছু পার্থক্য থাকলেও ভারত, ভিয়েতনাম, চীন, হংকংসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ২০০-২৫০ কোটি টাকার মধ্যে থাকে।’ এর তুলনায় কিলোমিটারপ্রতি ৭০৪ কোটি টাকা ব্যয়-বরাদ্দ যে দুর্নীতি ও পুঁজি লুণ্ঠনের ‘অস্বাভাবিক’ চাহিদা মেটানোর জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে, সেটা না বোঝার কোনো কারণ নেই।জনগণের স্বার্থে আওয়ামী লীগ সরকারকে সুশাসন কায়েম করতেই হবে এবং দুর্নীতি দমনে শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। ১০ বছর ধরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক প্রশংসনীয় পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে, কিন্তু দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা থেকে সরকার সরে এসেছে বলে কোনো বিশ্বাসযোগ্য সুখবর পাওয়া যায়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের ৪৩ বছরের ইতিহাসে ক্ষমতাসীন প্রতিটি শাসক মহল এ ধরনের ‘স্বজনতোষী পুঁজিবাদেরই’ পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। বিদ্যুৎ খাতের ‘দায়মুক্তির আদেশ’ বাতিলের আহ্বানটি আসলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণাকে কাজে পরিণত করারই আহ্বান।ড. মইনুল ইসলাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ | 394,914 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৫ আগস্ট ২০১৫, ০২:৩৬ | ০৫ আগস্ট ২০১৫, ০২:৩৮ | খেলা,দেশের ফুটবল | 0 | খুদে ফুটবলারদের কোরিয়া যাত্রা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/594016 | মেহেদি হাসানের জন্য অভিজ্ঞতাটা একেবারেই নতুন। সামনে একগাদা ক্যামেরা ও টিভি ক্যামেরা। ঘিরে ধরা সব গণমাধ্যমকর্মী। তবে মাইক্রোফোন হাতে এতটুকু ঘাবড়ায়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১২ দলের অধিনায়ক! কিশোরদের আন্তর্জাতিক ফুটবল উৎসব-এশিয়ান যুব ফুটবল ফিয়েস্তায় অংশ নিতে আজ ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ। দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে খুবই রোমাঞ্চিত নারায়ণগঞ্জের কিশোর, ‘সিলেটের একাডেমিতে আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি। আশা করি সেখানে ভালো করব। অধিনায়ক হিসেবে যাচ্ছি বলে একটু বেশিই ভালো লাগছে আমার।’আগামী ৭-১০ আগস্ট কোরিয়ার আনসিয়ং শহরে হবে এই ফুটবল উৎসব। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১৫টি দেশ। সেভেন এ সাইড টুর্নামেন্ট, ৩০ মিনিটের খেলা। কোরিয়ায় যাওয়ার পরই নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। খুদে ফুটবলারদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী কোচ আনোয়ার পারভেজ, ‘দলটিকে গড়ে তুলতে যা যা প্রয়োজন সবই করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ছেলেরা ভালো করবে।’ কাল বাফুফে ভবনে এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। | 157,615 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৫৮ | ১৯ আগস্ট ২০১৭, ২০:৪৩ | গাজীপুর,অপরাধ,ঢাকা বিভাগ | null | গরু চুরির অভিযোগ, গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1295166 | গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বড়সিট ভুঁইয়াবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।গণপিটুনিতে মৃত দুই ব্যক্তি হলেন: কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ভৈরব গ্রামের মো. আলম (৩৮) ও তাঁর সহযোগী আবুল কালাম (৩৫)। গণপিটুনিতে আহত হন ঢাকার কেরানীগঞ্জের কাভার্ডভ্যান চালক মো. মোকসেদ (৩৮)।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে বিকেল পাঁচটার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যান দ্রুতগতিতে ভুঁইয়াবাড়ী বড়সিট এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে কাভার্ডভ্যানটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি রাস্তার পাশের ধান খেতে উল্টে পড়ে। এ সময় আশপাশের লোকজন গিয়ে কাভার্ডভ্যানের ভেতর থেকে একটি গরু উদ্ধার করে। পরে কাভার্ডভ্যান চালক ও সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে এলাকাবাসী তাঁদের চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানার পুলিশ গণপিটুনিতে আহত তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. হাসান জামিল কল্লোল জানান, দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। অপরজনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান খান জানান, খবর পেয়ে গণপিটুনিতে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। একটি গরু উদ্ধার করে কাপাসিয়া থানায় রাখা হয়েছে। গরু মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। | 333,604 |
মোহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহ | education | শিক্ষা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৯ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৪০ | পড়াশোনা | 0 | সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/782683 | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর: অধ্যায়-৮প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্রের অধ্যায়-৮ থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরের নমুনা দেওয়া হলো।সামাদ মিয়া গ্রামের কৃষক। তিনি ভালো ফসল ফলানোর জন্য আগে গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কৃষি অফিসে গিয়ে নানা পরামর্শ নিতেন। কিন্তু এখন তিনি অফিসে না গিয়েও মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই পরামর্শ নিতে পারেন। একইভাবে তিনি ফসল রোপণ ও কাটার ক্ষেত্রেও আধুনিক উপাদান ব্যবহার করছেন। এতে তাঁর উত্পাদন বেড়ে আর্থিক উন্নতি সাধিত হচ্ছে।ক. শিল্পায়ন কী?খ. ‘নগরায়ণ ও শিল্পায়ন একে অপরের পরিপূরক’, ব্যাখ্যা করো।গ. উদ্দীপকটি পড়ে বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোন উপাদানের প্রভাবকে তুমি চিহ্নিত করবে?ঘ. বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অন্যান্য উপাদানের চেয়ে নির্দেশিত উপাদানটির প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তুমি কি এর সঙ্গে একমত?উত্তর-কশিল্পায়ন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়, যেখানে ক্ষুদ্র ও হস্তচালিত উত্পাদনের পরিবর্তে যন্ত্র ও শক্তিচালিত কলকারখানায় উত্পাদন হয়। এ প্রক্রিয়ার যান্ত্রিক পদ্ধতিতে অকৃষিজ পণ্য উত্পাদন হয়।উত্তর-খনগরায়ণ ও শিল্পায়ন একটি অপরটিকে গতিশীল করে। যেখানে নগরায়ণ হয়, সেখানে শিল্পায়নও হয়। আবার যেখানে শিল্পায়ন হয়, সেখানে নগরায়ণও হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য। নগরায়ণ ও শিল্পায়ন একে অন্যকে ত্বরান্বিত করে বিধায় বলা হয় এরা একে অপরের পরিপূরক।উত্তর-গউদ্দীপকটি পড়ে বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রভাবকে চিহ্নিত করা যায়।তথ্য ও প্রযুক্তি বলতে সাধারণত তথ্য সংরক্ষণ করা ও একে ব্যবহার করার কৌশলকে বোঝায়। প্রযুক্তি হচ্ছে বিজ্ঞানের ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক দিক। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, ব্যবহার-সম্পর্কিত তথ্য, প্রয়োগবিধি প্রভৃতি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার নামই তথ্যপ্রযুক্তি। সব সমাজে আজ তথ্য ও প্রযুক্তি নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত করছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে সামাজিক পরিবর্তনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর প্রভাবে কৃষি উত্পাদনে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এর ফলে কৃষকেরা যেমন চাষাবাদ-সম্পর্কিত সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য পাচ্ছেন, তেমনি উন্নত জাতের বীজ, সার ও কলাকৌশল ব্যবহার করছেন। ফলে বেড়েছে উত্পাদন।উদ্দীপকে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সামাদ মিয়া চাষাবাদ-সম্পর্কিত নানা তথ্য পাচ্ছেন। এটি সম্ভব হয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণে। তাই উদ্দীপকে বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুুক্তির প্রভাব স্পষ্ট।উত্তর-ঘবাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনে নগরায়ণ, শিল্পায়ন, বিশ্বায়ন প্রভৃতির চেয়ে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রভাব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সাহিত্যসহ সব ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বায়নের এই যুগে কোনো দেশই আজ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন কিংবা একাকী নয়। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্ব উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ ও অনুকরণ করছে। উন্নত দেশের সমাজব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি অভাবনীয় পরিবর্তন সূচিত করেছে। এ ক্ষেত্রে উন্নত দেশের অনুকরণ করছে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো। এর ফলে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রভাবও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্র্রতিক কালে বাংলাদেশের দিকে তাকালেই আমরা তা প্রত্যক্ষ করি। বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সব ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির নির্ভরতা বাড়ছে। গড়ে উঠছে ডিজিটাল ক্লাসরুম। প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে অনলাইন ব্যাংকিং। সমাজজীবনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, এফএম রেডিও প্রভৃতির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রভাব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে। শিক্ষার হার যেমন বেড়েছে, তেমনি এসেছে কাঙ্ক্ষিত সফলতা। কমেছে সময় ও অর্থের অপচয়। কমেছে নানা জটিলতা। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। বেড়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সেবার মান। ব্যবসা-বাণিজ্যে এসেছে গতিশীলতা। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ ঘরে বসে হাজার হাজার মাইল দূরের মানুষের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে। এর প্রভাবে কৃষি উত্পাদনে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তথ্য ও প্রযুক্তির প্রভাবে সমাজ আরও বেশি গতিশীল হচ্ছে। আগামী দিনে এ প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।প্রভাষক, এনায়েতবাজার মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম | 205,976 |
-1 | sports | খেলা | ২১ আগস্ট ২০১৩, ০১:৪০ | ২১ আগস্ট ২০১৩, ০১:৪১ | খেলা | null | মাশরাফির সমাধান | http://www.prothom-alo.com/sports/article/40811 | ক্রীড়া প্রতিবেদক চুল পড়া ঠেকাতে হাজারটা ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। মাশরাফির সেসবে ভরসা নেই। চুল পড়ে মাথার মাঝখানে একটা ‘স্টেডিয়াম’ বের হয়ে যাওয়া ঠেকাতে তাঁর বেছে নেওয়া ভিন্ন পন্থাটা ছবিতেই পরিষ্কার—অনুশীলন ক্যাপের ঊর্ধ্বাংশটা কেটে ফেলেছেন এভাবেই। কাল একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে বললেন, ‘চুল পড়ে মাথা খালি হয়ে যাচ্ছে। ক্যাপ পরে থাকলে ঘামে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় বলেই এই দশা। সে জন্যই ক্যাপ কেটে ফেলেছি। এখন মাথায় বাতাস ঢুকবে।’ এতে জাতীয় দলের স্পনসর সাহারারও মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার কিছু দেখছেন না এই পেসার, ‘সাহারার নামটা তো আর কাটিনি!’ | 10,805 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:০৭ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৪২ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | পাখি মেলায় মুক্তি পেল শত শত পাখি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1045233 | খাঁচায় বন্দী ছিল মুনিয়া, টিয়া, ঘুঘু এমনকি শঙ্খচিলও। রংবেরঙের এসব পাখির সংখ্যা তিন শর বেশি। খাঁচাবন্দী পাখিগুলোকে আজ শুক্রবার ভোরে বন বিভাগের অপরাধ দমন ইউনিট সাভারের কবিরপুরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এর ঘণ্টা কয়েক পর সকালে ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেনে পাখি মেলায় অবমুক্ত করা হয়। তবে পাখি শিকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পালিয়ে গেছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে আজ ভোর ছয়টার দিকে সাভারের কবিরপুরের পাগলাবাজার এলাকায় রাজু আহমেদ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। বন সংরক্ষক অসিত রঞ্জন পালের তত্ত্বাবধানে এই অভিযানে ওই বাড়ি থেকে ৩০৪টি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৮১টি মুনিয়া, ৮২টি ঘুঘু, ৩৫টি লালমাথা টিয়া, পাঁচটি টিয়া ও একটি শঙ্খচিল রয়েছে। পাখিগুলো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে আনা হয়েছে জানিয়ে অসীম মল্লিক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শঙ্খচিল ও মুনিয়া পাখিগুলো বরিশাল, পাথরঘাটার মতো উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ধরা হয়েছে। টিয়া পাখিগুলো পাবনা, ঈশ্বরদীর মতো এলাকা থেকে ধরা হয়ে থাকতে পারে। উদ্ধার পাখিগুলো সকাল ১০টার দিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ছেড়ে দেওয়া হয়। | 276,609 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ নভেম্বর ২০১৬, ০৩:১৯ | ২০ নভেম্বর ২০১৬, ০৩:২০ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),ঢাকা বিভাগ,আইন ও বিচার | 0 | শাহজাহানপুরে ডাকাতি, তিন ডাকাত গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1024451 | রাজধানীর শাহজাহানপুরের একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে শাহজাহানপুর থানার পুলিশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সোহেল ওরফে জামাই সোহেল (২৮), বাবুল হোসেন (২৪) ও কবির হোসেন ওরফে মনা (২৩)। এর মধ্যে সোহেল ডাকাত দলের নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডাকাত দলের আরও তিন সদস্য পলাতক রয়েছেন।শাহজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ৩৮১ নম্বর শাহজাহানপুরের একটি বাসার নিচতলায় ডাকাতি হয়। ছয়জন ডাকাত ওই বাসার সবাইকে বেঁধে জিম্মি করে ফেলে। এরপর বাসা থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকা, ল্যাপটপ, দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা, মুঠোফোন, ৬-৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। এ সময় ডাকাতদের আঘাতে একজন আহত হন। বাসার কর্তা একজন সরকারি কর্মকর্তা। এ ঘটনায় থানায় তিনি একটি মামলা করেন। | 266,959 |
এস এম আক্কাছ উদ্দিন, ফটিকছড়ি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ আগস্ট ২০১৩, ০০:৫০ | ২৯ আগস্ট ২০১৩, ০০:৫৫ | আমার চট্টগ্রাম | null | বেদনার কথা জানাবেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/42799 | ‘প্রধানমন্ত্রী আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। কিন্তু তাঁর কাছে নিজের বেদনাটুকু খুলে বলে হালকা হতে চাই। তিনিও তো স্বজন হারিয়েছেন। স্বজন হারানোর বেদনা তিনি বুঝতে পারবেন।’ এ বছরের ১১ এপ্রিল ফটিকছড়ির ভূজপুরে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মো. ফোরকানের মা ফেরদৌস বেগম একথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার ভূজপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন। জনসভার এক ফাঁকে সেদিনের তাণ্ডবে নিহত মো. ফোরকানসহ তিন ব্যক্তির স্বজনেরা দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। নিজেদের বেদনার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁরা সেদিনের ঘটনার বিচারও চাইবেন।উল্লেখ্য, ভূজপুরে সেদিনের হামলার সঙ্গে জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা যুক্ত ছিলেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দাবি করেন। সেদিনের হামলায় তিন ব্যক্তি নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল দেড় শতাধিক মোটর সাইকেল ও গাড়ি।কেমন আছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা? জানতে চাইলে নিহত মো. ফোরকানের মা কেবল চোখ মোছেন। বলেন, ‘ও বাজারে গিয়েছিল মোবাইল ঠিক করতে। কে জানত, আর কখনো বাড়ি ফিরবে না!’নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক ইকবালের স্ত্রী সানজিদা আরেফিন এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারেননি স্বামীকে। ছয় বছরের নাহিয়ান ও আড়াই বছরের তাজরিয়ান ছিল বাবার চোখের মণি। যতক্ষণ বাড়িতে থাকতেন, সন্তানদের নিয়ে মেতে থাকতে পছন্দ করতেন তিনি। বাবাকে হারিয়ে দুই সন্তান এখন নির্বাক প্রায়। তাদের সব আনন্দ মিলিয়ে গেছে। সানজিদা কান্নাজড়িত গলায় বলেন, ‘মা হয়ে এই কষ্ট আমি কীভাবে সহ্য করি! তবে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলে কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে।’নিহত অপর ব্যক্তি মো. রুবেলের মা শামসুন্নাহারের পরিবারের ভরণ-পোষণ করছেন তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর আলম। শামসুন্নাহার বলেন, ‘বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে সেদিন হরতালবিরোধী মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে প্রাণ হারায় রুবেল। ওর মৃত্যুর পর আমার পরিবারের আর্থিক দুর্দশা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে অন্তত একটা ব্যবস্থা তিনি করবেন।’আহত ব্যক্তিরাও সেদিনের ঘটনার সুবিচার চান। নানুপুর গ্রামের মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের বর্বর হামলার কথা মনে হলে এখনো শিউরে উঠি। প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে সে পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখবেন।’সেদিনের ঘটনায় আহত জাফতনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিক উদ্দিন বলেন, ‘যেসব নেতা-কর্মী সেদিন আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’ লেলাং ইউনিয়নের আরেক আহত আওয়ামী লীগ কর্মী মো. জসিম উদ্দিন ১১ এপ্রিল দিনটিকে ‘ভূজপুর তাণ্ডব দিবস’ ঘোষণার দাবি জানান।হরতালবিরোধী মিছিলের নেতৃত্বদানকারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ভূজপুরের ঘটনায় আহত এবং নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। তাদের সম্মানে সভাস্থলে আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন।’ | 12,797 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১০:৪৩ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১০:৫৭ | অপরাধ | 0 | মোহাম্মাদীয়া হাউজিং থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/103780 | রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে গতকাল মধ্যরাতে ইবনে তৌফিকুল ইসলাম ওরফে ইমন (২৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ইমন সম্প্রতি ৩৩তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, ইমন মোহাম্মাদীয়া হাউজিংয়ের ২ নম্বর রোডের ২৫২/১০ নম্বর বাড়িতে মেসে ভাড়া থাকতেন। তাঁর সঙ্গে একটি কক্ষে আরেকজন থাকতেন। গতকাল রাত ১১টার পর মেসের কয়েকজন সদস্য থানায় ফোন করে ইমনের মৃত্যুর খবর জানান। পরে পুলিশ গিয়ে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ইমনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।ওসি জানান, ঢাকায় থাকা ইমনের আত্মীয়স্বজন দাবি করেছেন ইমন ৩৩তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। | 37,097 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৭ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:৫৯ | ২৭ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:২৫ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | ফাস্ট বোলারদের শিকল পরাবেন না, আইসিসিকে শোয়েব | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1029053 | ফুটবলে যা হয়, তার কানাকড়িও ক্রিকেটে হওয়ার জো নেই। আচরণবিধির কড়াকড়িতে খেলাটা একটু রং হারায় কি না, এমন বিতর্ক আছে। কেউ মনে করেন, ভদ্রলোকের খেলায় এর প্রয়োজন আছে। আবার কেউ মনে করেন, এতে রসকষ হারিয়ে যাচ্ছে। শোয়েব আখতার যেমন বললেন, অন্তত ফাস্ট বোলারদের ব্যাপারে আইসিসি যেন এত খড়্গহস্ত না হয়।পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা বলেছেন, ‘ফাস্ট বোলারদের গলা টিপে ধরবেন না। তাহলে খেলাটার রং আর জনপ্রিয়তা দুটিই কমবে। মানুষ ফাস্ট বোলারদের ঝোড়ো গতিতে দৌড়ে এসে উইকেট তুলে নিতে দেখতে চায়। চায় ওরা আবেগ দেখাক। যখন আপনি দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেবেন, নিজেকে নিংড়ে দেবেন, তখন অনেক আবেগ এসে ভর করবেই। ফাস্ট বোলারদের কাছে মানুষ এ-ই তো চায়।’শোয়েব বলেছেন, ‘আমি বলব, ফাস্ট বোলারদের শিকল পরাবেন না। ওদেরকে ওদের মতো করে নিজেকে প্রকাশ করতে দিন। ফাস্ট বোলারদের কেউ যদি মার খায়, ও খেপে উঠবেই। এটাই তো ব্যাট আর বলের সেরা লড়াই। এটাই আসল ক্রিকেট।’এখন যে আগের মতো তেজ ছড়ানো ফাস্ট বোলার দেখা যায় না, এর জন্য আইসিসির এত এত নিয়মকানুন দায়ী বলে মনে করেন শোয়েব। ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতির বল করায় সুখ্যাতি পাওয়া রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেছেন, ‘এখন খেলোয়াড়দের আবেগ প্রকাশের ওপর কত বিধিনিষেধ আর নিয়মকানুন। সব খেলাতেই কিন্তু আবেগ থাকবেই। এখনো সবাই ষাট, সত্তর কিংবা আশির দশকের ফাস্ট বোলারদের স্মরণ করে। তাঁরা কেউ নিয়মকানুনের শেকলে বাঁধা ছিলেন না। নিজেদের প্রকাশ করতে ভয়ও পেতেন না। তখন লড়াইটা ছিল খেলোয়াড় বনাম খেলোয়াড়। খেলোয়াড়দের শিকল পরানোর জন্য খুব বেশি আইনও ছিল না।’ | 268,950 |
আলোকিত প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:০০ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:০১ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | শেষ হলো ভ্রান্ত সম্প্রদায়ের নাট্যোৎসব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/45447 | তারুণ্য আর সাহস মূলমন্ত্র। আর এই মন্ত্র নিয়ে নাটকপাড়ায় দেখতে দেখতে তিন বছর পার করে দিল নাট্যদল ‘ভ্রান্ত সম্প্রদায়’। ভ্রান্তের পথচলার তিন বছর উদ্যাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীতে ১ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর বসেছিল নাট্য উৎসব। জমজমাট এই উৎসবে নাটক নিয়ে মঞ্চে আসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি দল।আয়োজনের উদ্বোধন করেন নাট্য নির্দেশক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক অসীম দাশ। অতিথি ছিলেন, মশিউর আদনান ও মোসলেম উদ্দিন। উদ্বোধনী দিনে নাট্যকর্মী শাহীনূর সারোয়ারকে বিশেষ সম্মা-ননা জানানো হয়।এরপর মুক্তমঞ্চে প্রদর্শিত হয় ভ্রান্ত সম্প্রদায়ের নাটক চোর। রচনায় ছিলেন তাপস চক্রবর্তী ও নির্দেশনা দিয়েছেন সুমিত চয়ন। মূল মিলনায়তনে শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র, ঢাকা পরিবেশন করে নাটক তৃতীয় একজন। নাটকটি রচনা করেছেন সমীর দাশগুপ্ত ও নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিল ভ্রান্ত সম্প্রদায় প্রযোজিত নাটক দ্য গেম। লুইজি ব্রায়ান্টের রচনায় নাটকটি অনুবাদ করেন রূবাইয়াৎ আহমেদ ও নির্দেশনা দেন রূমেল বড়ুয়া। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় ছিল দ্বান্দ্বিক নাটকটি। নির্দেশনায় ছিলেন মামুনুল হক।সমাপনী দিন মুক্তমঞ্চে পরিবেশন করা হয় শহীদনগর থিয়েটারের নাটক বর্ণচোরা। মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয় ফেইম স্কুল অব ডান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিকের পরিবেশনায় মলিয়্যের- এর নাটক জর্জ দঁদ্যা। | 15,190 |
-1 | opinion | মতামত | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:০৮ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:১১ | সম্পাদকীয়:,মতামত | null | পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/459196 | তিস্তা চুক্তির বিষয়ে যে বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশ শুনতে চেয়েছিল, সে আশ্বাস তিনি দিতে পারেননি। ইলিশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি তুলনীয় নয়। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে আলোচনায় অম্লমধুর সুরে বলেছেন, পানি এলে ইলিশ যাবে। আবার নৌকা উপহার দিতে গিয়েও তিনি পুনর্বার বলেন, নৌকা যেন পানিতে চলতে পারে।মমতার শুভেচ্ছা সফরকে বাংলাদেশের নেতারা যে গুরুত্বের সঙ্গেই গ্রহণ করেছেন, তাতে সন্দেহ নেই। বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির এক ক্রান্তিকালে দল-মতনির্বিশেষ সবাই মমতার কাছ থেকে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে একটি উপযুক্ত ঘোষণা শুনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা পূরণ হয়নি।তিস্তার পানি নিয়ে চিন্তা করবেন না: মমতা তিস্তাসহ অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানিবণ্টনের মতো বিষয়ের সঙ্গে ভারত সরকারের বিদেশনীতির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। নদীর পানিবণ্টনে রাজ্য সরকারের ভূমিকা থাকলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত দায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাঁধেই বর্তায়। সাড়ে তিন বছর আগে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে তিস্তা চুক্তির সব ঠিকঠাক হয়েছিল। ভারতের নেতারা ও গণমাধ্যম এই ধারণাই দিয়েছে যে তৃণমূল নেত্রীর অসম্মতির কারণেই তখন তিস্তা চুক্তি হয়নি। আর এবারের আশাবাদের সময় বাংলাদেশি মুখপাত্রের বরাতে ভারতের গণমাধ্যম সতর্কতার সঙ্গে মমতার ‘ইতিবাচক’ ভূমিকা রাখার খবর ছেপেছে। আর ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ‘কিছু কারিগরি সমস্যার’ দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আমরা মনে করি যে চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল সেটার ব্যাপারে এ ধরনের ‘কারিগরি সমস্যার’ প্রশ্ন তোলা মানে চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি পিছিয়ে যাওয়া। এটা সময়ক্ষেপণেরই ইঙ্গিত দেয়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সেতুবন্ধ হতে চাইছেন। আমরা তাঁর এই মনোভাবকে স্বাগত জানাই। তিস্তার ব্যাপারে তিনি তাঁর ওপর ‘ভরসা’ রাখতে বলেছেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছর আগে চূড়ান্ত হওয়া তিস্তা চুক্তির বিষয়ে যদি তিনি এখনো মনস্থির করতে না পারেন, বাংলাদেশ তাঁর ওপর কীভাবে ভরসা রাখবে?তিস্তার বিষয়ে আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য চাই। | 117,834 |
কুড়িগ্রাম অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৪৮ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৪৯ | কুড়িগ্রাম,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | null | ২৬টি গরু-ছাগল ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/747829 | কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চৌদ্দঘুড়ি সীমান্ত থেকে গত বুধবার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের কৃষকদের ২৩টি গরু ও ৩টি ছাগল ধরে নিয়ে গেছে। বিজিবি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব গবাদিপশু ফেরত চেয়ে চিঠি দিলেও বিএসএফ গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সাড়া দেয়নি।কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকির হোসেন গতকাল বেলা তিনটার দিকে বলেন, ‘বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশিদের গরু ও ছাগল ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ায় তারা আটক করেছে। খবর পেয়ে আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গবাদিপশুগুলো ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত বিএসএফ সাড়া দেয়নি। পশুগুলো ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।’পশুগুলোর মধ্যে চৌদ্দঘুড়ি বালারহাট গ্রামের মজিবর রহমানের নয়টি গরু, মনছার আলীর চারটি ও জসিম মিয়ার তিনটি গরু এবং ইউনুছ আলীর তিনটি ছাগলসহ মোট ছয়জনের ২৩টি গরু ও ৩টি ছাগল রয়েছে।কৃষকেরা বলেন, বুধবার অন্য দিনের মতো সীমান্ত এলাকার নো ম্যান্স ল্যান্ডে (প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকা) ঘাস খাওয়ানোর জন্য পশুগুলো বাঁধা ছিল। বিকেল চারটার দিকে ভারতের শিয়ালদহ ক্যাম্পের বিএসএফের জওয়ানেরা ভেতরে ঢুকে পশুগুলো ধরে নিয়ে যান। গ্রামবাসী বিষয়টি বিজিবির চৌদ্দঘুড়ি সীমান্ত ফাঁড়িতে জানায়। | 194,826 |
নোয়াখালী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪৬ | ০১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪৬ | বিশাল বাংলা | 0 | ছিনতাইকারীর গুলিতে নিহত ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/816166 | নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামে ছিনতাইকারীদের গুলিতে মো. ফারুক (২৪) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ফারুকের বাড়ি শরীফপুর গ্রামে। তিনি পেশায় মোটরসাইকেলের মেকানিক ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফারুক ছয় মাস আগে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পূর্ব বাজারে মোটরসাইকেল মেরামতের একটি দোকান দেন। বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে তাঁর ছোট ভাই মিলনসহ (চৌমুহনীর একটি দরজির দোকানের কর্মচারী) মোটরসাইকেলযোগে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি গ্রামের কামাল চেয়ারম্যানের পোল পার হয়ে একটু সামনে যেতেই তিন-চারজন ছিনতাইকারী তাঁদের গতি রোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে তাঁদের কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ফারুক ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় তাঁর মাথায় গুলি করা হয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে সঙ্গে থাকা ফারুকের ভাইকে কোনো আঘাত করেনি ছিনতাইকারীরা।পুলিশ জানায়, রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তিনি রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। | 216,130 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৩০ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৮:০৯ | আলাপন,বিনোদন | 0 | স্বপ্ন দেখি এখনো | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/704773 | প্রথমবার আয়োজিত গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন মিজান রাজীব। সেবার মৌলিক গানের শিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া রাজীব বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। সম্প্রতি বাজারে এসেছে রাজীবের নতুন একক অ্যালবাম। এই সূত্রে রোববার দুপুরে যখন কথা হচ্ছিল, তখন তিনি ছিলেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।গাড়ির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি, কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন নাকি?চট্টগ্রাম যাচ্ছি; বেড়াব। তবে পুরোপুরি বেড়ানোর উদ্দেশ্যে না। সন্ধ্যায় গানের অনুষ্ঠান আছে চট্টগ্রাম শহরে। সেখানে গান করব। মঞ্চের গান গাওয়াকে বেশি গুরুত্ব দিই, স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ কী? এতে দর্শকের সরাসরি সাড়া পাওয়া যায়। দর্শকেরা এখানে আয়নার মতো কাজ করে। নিজের অবস্থানটা জানা যায়।আপনার নতুন একটি গানের অ্যালবাম বাজারে এসেছে। হ্যাঁ, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ থেকে আসা আমার নতুন গানের অ্যালবামের নাম তোমার আমি। গত পরশু জি-সিরিজের ব্যানারে বাজারে এসেছে অ্যালবামটি। অ্যালবামটিতে আমার গাওয়া গান আছে আটটি। সব কটিই মৌলিক গান। এই অ্যালবামের গানগুলো লিখেছেন স্যামুয়েল হক এবং সুর করেছেন ফয়সাল আহমেদ। অ্যালবামের গানগুলোর কম্পোজিশন করেছেন মেহেদী ও আমজাদ হোসেন। এটি আমার চতুর্থ একক অ্যালবাম। সমসাময়িকদের তুলনায় আপনার একক অ্যালবামের সংখ্যাটা কম, আগের অ্যালবাম প্রকাশের পর দীর্ঘ বিরতি নিলেন কেন? অনেক দিন থেকেই অ্যালবাম করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অনেক প্রতিবন্ধকতার কারণে করা হয়নি। ভালো গানের কথা, সুর, কাকে দিয়ে মিউজিক করাব, স্পনসর কোথায় পাব—এসব নিয়ে টেনশনেই ছিলাম। গানের মানটাও আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এসব কারণেই অ্যালবাম করার কাজ পিছিয়ে যাচ্ছিল। এই দুশ্চিন্তার মাঝে হঠাৎ জি-সিরিজের কর্ণধার খালিদ ভাই আমাকে দিয়ে একটি একক অ্যালবাম করার কথা জানালেন। আমার আর তাঁর চিন্তার কোথাও একটা বড় মিল খুঁজে পেলাম। এরপর কাজ শুরু হলো। আগামী পরিকল্পনা কী? পরিকল্পনা তো অনেক ছিল। কিছু সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেছে...কিছু এখনো বেঁচে আছে, স্বপ্ন দেখি এখনো। এই অ্যালবামের সফলতা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী? ঠিক আশাবাদী সেটা বলতে চাইছি না। তবে আমি সন্তুষ্ট। আমি জানি না শ্রোতারা কীভাবে নেবেন, বাজারে কেমন চলবে—এ বিষয়েও আমি ধারণা করতে পারছি না। তবে আমি চেষ্টা করে যাব। আপনি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে ডিগ্রি নেওয়া একজন চিত্রশিল্পী। আঁকাআঁকি নিয়ে কোনো ভাবনা? ওই যে বললাম, পরিকল্পনা অনেক আছে, কিন্তু সবকিছু তো আর পরিকল্পনা করে হয়ে ওঠে না। আপাতত নিজের মতো চর্চা করে যাচ্ছি। সাক্ষাৎকার: মাসুম আলী | 181,243 |
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৪০ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৪১ | বাগমারা,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | এতিমদের জন্য আনা দুম্বার মাংস লুট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/732142 | রাজশাহীর বাগমারা থেকে ১৫০ কার্টন দুম্বার মাংস লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার উপজেলা পরিষদ থেকে ওই মাংস লুট করে দুর্বৃত্তরা। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে মাংস না পেয়ে এতিম শিশুরা রাতে ফিরে যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাগমারার এতিমদের মধ্যে বিতরণের জন্য ১৫০ কার্টন দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য পিআইওর কার্যালয় উপজেলার এতিমখানা (শিশুসদন) ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার তালিকা করে। এরপর মাংস নেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত ওই সব এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিশুদের ডাকা হয়। সে অনুযায়ী সোমবার সকালে এতিম শিশুরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আসে।সন্ধ্যার পর রাজশাহী শহর থেকে মাংসভর্তি পিকআপ উপজেলা পরিষদে পৌঁছায়। উপজেলা প্রশাসন তালিকা ধরে পুলিশের পাহারায় মাংস বিতরণের উদ্যোগ নিলে একদল দুর্বৃত্ত সেখানে হামলা চালিয়ে মাংসের কার্টন লুট করে নিয়ে যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের অফিস সহকারী তোয়াজ আলী বলেন, তাঁদের ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে মাংসের কার্টন লুট করে নেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনিসহ তাঁর দপ্তরের কয়েকজন সামান্য আহত হন। পরে মাংস না পেয়ে শিশুরা রাতে ফিরে যায়। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, ইসলামী ব্যাংক তাদের তত্ত্বাবধানে এসব মাংস উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে থাকে। বাগমারায় এই মাংস লুটপাট হয়ে থাকলে তাঁর করার কিছুই নেই। ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা লুটপাট ঠেকানোর চেষ্টা করেছি।’ | 189,874 |
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২২ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২২ | সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | উল্লাপাড়ায় গ্রেপ্তার–আতঙ্কে ভুগছে এক গ্রামবাসী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1073147 | সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রাম গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার জের ধরে গ্রামটিতে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে জমির পাকা ফসল ঘরে তুলতে না পারায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে।আসামিপক্ষের লোকজনের অভিযোগ, বাড়িতে পুরুষমানুষ না থাকায় বাদীপক্ষের লোকজন তাঁদের নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা।থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত ২৮ জানুয়ারি ওই গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও খাসজমির দখল নিয়ে জহুরুল ইসলাম ও হাসানুর রহমান পক্ষের সংঘর্ষে মকবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি খুন হন। আহত হয় দুপক্ষের মোট ৩০ জন। এ ঘটনায় জহুরুলের পক্ষে তাঁর ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে হাসানুর পক্ষের ৫১ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে উল্লাপাড়ায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ হাসানুর রহমান, কাওসার আলী, ইউনুস আলী ও রেজাউল কবির নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে।আসামিপক্ষের হাসানুর রহমানের বোন উম্মে কুলসুমসহ শিখা খাতুন, মিনা খাতুন, আরজিনা নামের স্থানীয় কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। জমিতে চাষ করা সরিষা পেকে গেলেও তা ঘরে তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসব সরিষা জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি এখন পুরুষশূন্য। প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে, বিশেষ করে রাতের বেলায় নারীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আমলে নিচ্ছে না।বাদীপক্ষের নেতা জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আসামিপক্ষের লোকজনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই সংঘর্ষে তাঁদের পক্ষের আহত লোকজনের চিকিৎসা বাবদ এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।উল্লাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, পুলিশ প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। তবে ফসল ওঠানোর ব্যাপারে কেউ পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাইলে সহযোগিতা করা হবে। | 289,854 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৬ জুলাই ২০১৮, ২১:৪৯ | ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৫৪ | ফ্রান্স,ফুটবল,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ | null | ’৯৮ ফেরাতে দুই ধাপ দূরে ফ্রান্স | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1526801 | আর দুটি ম্যাচ! ফ্রান্স তাদের ফুটবলের সবচেয়ে গৌরবময় মুহূর্ত ফিরিয়ে আনতে আর মাত্র দুটি ম্যাচ দূরে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর আবারও একটি সোনালি প্রজন্ম তারা পেয়েছে। এই প্রজন্ম সুযোগটা হাতছাড়া করতে নারাজ! আজ আরও একটি বাধা সহজেই পার হলো দিদিয়ের দেশমের দল। উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে চলে গেল সেমিফাইনালে।দুই অর্ধে ফ্রান্সের হয়ে গোল করেছেন মাদ্রিদের দুই খেলোয়াড়। ৪০ মিনিটে রিয়ালের রাফায়েল ভারান, ৬১ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর আঁতোয়ান গ্রিজমান। এডিনসন কাভানির শূন্যতায় প্রথম মিনিট থেকে ভুগতে থাকা উরুগুয়ে ম্যাচে ফেরার একটিই সুযোগ পেয়েছিল। ডিফেন্ডার মার্টিন কাসেরেসের হেডটি জালে জড়িয়ে গেলেই সমতায় ফিরতে পারত উরুগুয়ে। বলটি ঠিক গন্তব্যেই যাচ্ছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বলটা ঠেকিয়ে দিলেন হুগো লরিস।এমন সেভের পর যেকোনো দলই নতুন প্রাণ ফিরে পায়, অন্য দল নুইয়ে পড়ে। উরুগুয়ের বেলায়ও তা-ই হলো। আর কখনো তেমন ভয় জাগাতে পারেনি উরুগুইয়ানরা। তাদের একমাত্র সাফল্য ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পেকে বোতলবন্দী করে রাখা। কিন্তু তাতেও ফ্রান্সের খুব একটা সমস্যা হয়নি; বরং ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে দুই দলকেই হারাল। দিয়ে রাখল বার্তা।ব্রাজিল-বেলজিয়াম ম্যাচের জয়ী দল শেষ চারে মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের। নকআউট পর্বের দুই ম্যাচে ৬ গোল করা ফ্রান্স জানিয়ে রাখল, যে-ই আসুক, অসুবিধা নেই! এ এমন এক ম্যাচ, যেখানে শুধু স্কোরলাইন ফ্রান্সের দাপট বোঝাতে পারছে না। তবে এই তথ্য কিছুটা সাহায্য করতে পারে। ম্যাচের ১০ মিনিটের মতো বাকি থাকতে গ্রিজমান যখন ফ্রিকিক নিচ্ছিলেন উরুগুয়ের বক্সে, তখনই কাঁদতে শুরু করে দেন ওয়ালে দাঁড়ানো হোসে হিমেনেজ! উরুগুয়ের ডিফেন্ডার বুঝতে পারছিলেন, আর কোনো সুযোগ নেই!আজ এমবাপ্পে বন্দী থাকার পুরো সুবিধাটা তুলে নিলেন গ্রিজমান। দুটি গোলেই নাম জড়িয়ে আছে তাঁর। ভারানের গোলটি তাঁর ফ্রিকিক থেকে। গ্রিজমানের ফ্রিকিক থেকে হাওয়ায় ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করছিলেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার। কোত্থেকে চিলের মতো ছোঁ মেরে হেড দিয়ে দিলেন ভারান! দ্বিতীয় গোলটিও গ্রিজমানের একক কৃতিত্ব নেই। বক্সের প্রান্ত থেকে নেওয়া তাঁর শট এমন আগুনে গোলার মতো কিছু ছিল না। রেগুলেশন সেভ যাকে বলে। কিন্তু গোলরক্ষক মুসলেরা মুচলেকা দিলেন শিশুতোষ ভুলের। দুই হাতে পাঞ্চ করতে গিয়ে বল উল্টো ঠেলে দিলেন জালে! এমন এক গোল হলো, সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা গোলটা হয়েও উদ্যাপনের আগ্রহ পেলেন না গ্রিজমান!কিংবা হয়তো উরুগুইয়ান ভাইদের কথা ভেবে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছেন। অ্যাটলেটিকোতে খেলার সুবাদে গডিন-হিমেনেজের সঙ্গে তাঁর দারুণ সম্পর্ক। সুয়ারেজের সঙ্গেও খাতির ভালো। আজ অবশ্য লুইস সুয়ারেজ পুরো ডুবিয়েছেন। বিশ্বকাপ থেকে দিন দশেক আগে বাড়ি ফিরছেন, এই তথ্য বার্সেলোনাকে স্বস্তি দিলেও সুয়ারেজের মিসগুলো বেশ ভাবাবে। কাভানির শূন্যতায় আরও যেন ধার হারিয়ে ফেলেছেন সুয়ারেজ।আজ সবার নজর ছিল যাঁর ওপর, সেই এমবাপ্পে বেশ কয়েকটা ঝলক দেখিয়েছেনও। ১৫ মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পেয়েছিলেন তিনিই। জিরুর হেড থেকে পাওয়া বলটি আরামে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শট নিতে পারতেন। একদম ফাঁকায় ছিলেন বক্সে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে হেড, বল গেল বারের ওপর দিয়ে। তবে এ-ও ঠিক, এমবাপ্পে-আতঙ্কে আজ ভুগেছে উরুগুয়ে। | 369,488 |
বাগেরহাট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৪২ | ০৯ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৪৩ | বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/54105 | বাগেরহাটে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন স্বামী। বাগেরহাট সদর উপজেলার গোবরদিয়া গ্রামে গত সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী আল-আমিন মোল্যা (৩০) পলাতক রয়েছেন।নিহত ওই গৃহবধূর নাম রেশমা বেগম ওরফে আমেনা (২৫)। এই ঘটনায় নিহত রেশমার বাবা মুজিবর শেখ বাগেরহাট মডেল থানায় আল-আমিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল কবীর চৌধুরী জানান, ছয় বছর আগে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাথশালা গ্রামের মুজিবর শেখের মেয়ে রেশমার সঙ্গে একই উপজেলার গোবরদিয়া গ্রামের সুলতান মোল্যার ছেলে আল-আমিনের বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি শিশুসন্তান রয়েছে।ওই বাড়ির অপর ভাড়াটের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগে আল-আমিন প্রায়ই রেশমাকে মারধর করতেন। এক সপ্তাহ আগে আল-আমিন ওই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে যান।সোমবার রাতে একই বিষয় নিয়ে আল-আমিন তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে স্ত্রীকে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। খবর পেয়ে রেশমার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই আল-আমিন পলাতক রয়েছেন। | 23,024 |
ময়মনসিংহ অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মে ২০১৪, ০১:১৬ | ১৮ মে ২০১৪, ০১:১৬ | ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | বয়লার বিস্ফোরণে তিন শ্রমিক নিহত, দুজন দগ্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/218860 | ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার দড়িনগুয়া গ্রামে গতকাল শনিবার একটি চালকলের বয়লার বিস্ফোরণে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন৷ গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক৷নিহত শ্রমিকেরা হলেন উপজেলার নড়াইল গ্রামের সুলতান উদ্দিন (৩৫), আবুল কাসেম আলম (৩৩) ও ধারা ইউনিয়নের ধারাকান্দা গ্রামের হজরত অালী (৩৬)৷ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত শ্রমিক আবদুর রাজ্জাক (৪০) ও রহমত আলী (৩৬)৷প্রত্যক্ষদর্শী ও হালুয়াঘাট উপজেলা প্রশাসন জানায়, দড়িনগুয়ার মেসার্স শাকিল অটো রাইস মিলের শ্রমিকেরা গতকাল ভোর পাঁচটায় কাজে যোগ দেন৷ কাজ শুরুর সময় হঠাৎ বিকট শব্দে মিলের বয়লার বিস্ফোরিত হয়৷ এতে কাজে যোগ দেওয়া পাঁচ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হন৷ আহত শ্রমিকদের প্রথমে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়৷ কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়৷ সেখানে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়৷স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বিস্ফোরণে আগুনের ফুলকি ও বয়লারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চারদিকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে৷ বয়লারের ট্যাংক প্রায় ৪০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে৷ এ সময় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷চালকলে কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক জানান, বয়লারের মিটারটি আগে থেকেই নষ্ট ছিল৷ মাঝেমধ্যেই অতিরিক্ত তাপ জমা হতো৷ বিষয়টি কারখানার মালিক ফারুক হোসেনকে জানানোর পরও তিনি বয়লার মেরামত করেননি৷যোগাযোগ করা হলে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল আউয়াল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অতিরিক্ত তাপের কারণে বয়লারের ভেতর গ্যাস জমা হলে বিস্ফোরণ ঘটে৷ এতে মালিকপক্ষের অবহেলাও রয়েছে৷হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিউল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মিলের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করবে৷ কিন্তু তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক৷ | 74,203 |
দিনাজপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০০ | ২২ জানুয়ারি ২০১৫, ০৩:১৬ | অপরাধ,রংপুর বিভাগ,দিনাজপুর | 0 | দিনাজপুরে দুটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, দগ্ধ ৩ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/430882 | দিনাজপুরের কাহারোল ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় পণ্যবাহী দুটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। কাহারোলের তেরো মাইল এলাকায় বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ট্রাকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করায় ট্রাকে আগুন লেগে যায় এবং চালকসহ তিনজন দগ্ধ হন। অন্যদিকে ঘোড়াঘাটের খেতাবমোড় এলাকায় বুধবার রাত দশটার দিকে ইট ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলেও ট্রাকে আগুন লাগেনি, হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃত্থীশ সরকার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথে দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের তেরো মাইল এলাকায় ট্রাকটিতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে চালকসহ তিনজন দগ্ধ হন। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ কায়েস জানিয়েছেন, ঘোড়াঘাট থেকে ট্রাকটি ধান নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ যাচ্ছিল। রাত দশটার দিকে খেতাবমোড় এলাকায় ট্রাকটিতে ইট ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকের সামনের কাঁচ ভেঙে গেলেও আগুন লাগেনি। | 108,908 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মার্চ ২০১৭, ১৬:৩৫ | ১৩ মার্চ ২০১৭, ১৬:৩৮ | রাজনীতি,সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ | null | জয়াকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1106713 | সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টি ও জাসদের প্রার্থী। আজ সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ। সেখানে জয়া সেনগুপ্তকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী শেখ জাহির আলী। এ সময় দিরাইয়ে অপর এক সভায় থাকা জাসদ প্রার্থী আমিনুল ইসলাম টেলিফোন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানান। এমনকি ওই সভায়ও একই ঘোষণা দেন।দুই প্রার্থী সরে যাওয়ার ঘোষণার পর সভায় মিসবাহউদ্দিন সিরাজ বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির অহংকার। তাঁর মৃত্যুতে সুনামগঞ্জসহ গোটা দেশের মানুষ শোকাহত। সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত এ নেতার সহধর্মিণীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি শ্রদ্ধা ও আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান জানিয়ে দুটি দলের প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় জাহির আলী ছাড়াও জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক গুলজার আহমদ, সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।৩০ মার্চ সুনামগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফায়েজ আলী মাহবুব হোসেনের সঙ্গে লড়তে হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তকে।মিসবাহউদ্দিন সিরাজ বলেন, তাঁকেও (ফায়েজ আলী মাহবুব হোসেন) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ সুনামগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর এ আসনটি আবারও শেখ হাসিনাকে উপহার দেবে। | 302,135 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১১:৩১ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১১:৫৫ | ভারত | null | একুশ শতক ভারতের: মোদি | http://www.prothom-alo.com/international/article/641242 | একুশ শতক ভারতের বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মোদি এ মন্তব্য করেন। আজ সোমবার দ্য হিন্দু পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন বলছে, একুশ শতক ভারতের।মোদি বলেন, ‘একুশ শতক কার—তা নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা চলছে। একুশ শতক এশিয়ার বলে সবার বিশ্বাস। কিন্তু এখন মানুষ বলছে, একুশ শতক ভারতের। বিশ্ব এখন এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।’ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মনোভাবে এই পরিবর্তন কে এনেছে? ‘‘মোদি মোদি” স্তুতিতে এই পরিবর্তন আসেনি। ১২৫ কোটি ভারতীয় এই পরিবর্তন এনেছে।’যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগে ভারতকে উপহাস করত বিশ্ব। এখন তারা ভারতকে কেন্দ্র হিসেবে দেখছে। একসময় বিশ্বের নাগাল পেতে মরিয়া ছিল ভারত। এখন বিশ্ব ভারতের সঙ্গে থাকতে চায়।’ | 171,833 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৫, ০১:২৮ | ১৬ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৩১ | খবর,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,আইন ও বিচার | 0 | তিন প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/503710 | চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরের পাথরঘাটার ফিশারিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার বেলা একটায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন।করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, চাক্তাই খালে গাছের গুঁড়ি ফেলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করায় জাহাঙ্গীর স মিলকে ১০ হাজার টাকা, ময়লা-আবর্জনা ও বালু ফেলে মরিয়ম বিবি খাল ভরাটের দায়ে স্বাদ কারখানাকে ১০ হাজার টাকা এবং করপোরেশনের সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। | 131,696 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৬ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৭ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/449857 | নারায়ণগঞ্জ শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার এলাকায় চাঁদার দাবিতে এক ব্যবসায়ীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে নারায়ণগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ দে ও তার লোকজন। গুরুতর আহত ব্যবসায়ী নাসিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গতকাল বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে।ব্যবসায়ী নাসিরের নিকটাত্মীয় বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেলে নাসিরকে কয়েকজন ধরে শহরের দ্বিগুবাবুর বাজারে নিয়ে এসে পেটাচ্ছে—এমন খবর পেয়ে তাঁর বড় ভাই, আমি ও আরও দুজন ব্যবসায়ী বাজারে আসি। বাজারে এসে দেখি ছাত্রলীগ নামধারী শুভ দে, মেহেদি হাসানসহ ১৫-২০ জন ছেলে নাসিরকে ধরে পেটাচ্ছে। আমরা তাঁকে বাঁচাতে গেলে তারা আমাদেরও মারতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ এলে তারা চলে যায়। পুলিশ নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে থেকে মেহেদি হাসানকে আটক করে।বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘চাঁদার দাবিতে নাসিরকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি।’নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আমিনুল ইসলাম জানান, প্রচণ্ড মারধরে নাসিরের বাঁ চোখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাঁর মাথায় ও নাকে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।দ্বিগুবাবুর বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানদার জানান, শুভ দে নিজেকে নারায়ণগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও একজন প্রভাবশালী সাংসদের ছেলের বন্ধু পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জকলেজ ও আশপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাফায়েত আলম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটিই নেই। শুভ বা মেহেদী নামের কোনো ছাত্রলীগ কর্মীকে আমি চিনি না।’নারায়ণগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুর কাদের জানান, ব্যবসায়ী নাসিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন তাঁর আত্মীয়রা। তাঁরা এসে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেহেদী নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ব্যাপারে একাধিকবার শুভর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। | 114,786 |
অনলাইন ডেস্ক | economy | অর্থনীতি | ২৭ জুলাই ২০১৭, ১০:৫১ | ২৭ জুলাই ২০১৭, ১০:৫২ | বিদেশের খবর | null | বিজ্ঞাপনের জোয়ারে আয় বেড়েছে ফেসবুকের | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1267216 | চলতি বছরে যেন সাফল্যের জোয়ারে ভাসছে ফেসবুক। সম্প্রতি ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছাড়িয়েছে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বছরের এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারেও বেশ স্থিতিশীল আছে দরদাম। তার ওপর বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপনে এবার আয়ও ব্যাপক বেড়েছে ফেসবুকের।গতকাল বুধবার চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় ও মুনাফার তথ্য জানিয়েছে ফেসবুক। এতে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে আয় ও নিট মুনাফা দুটোই বেড়েছে কোম্পানিটির। এ সময়ে আয় হয়েছে ৯৩০ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া গত বছরের এই সময়ের চেয়ে নিট মুনাফা বেড়েছে ৭১ শতাংশ, হয়েছে ৩৯০ কোটি ডলার।লাভজনক এই অবস্থানে পৌঁছানোর অন্যতম কারণ বিজ্ঞাপন থেকে ব্যাপক আয়। কোম্পানিটি বলছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুকের আয় হয়েছে ৯১০ কোটি ডলার, যা মোট আয়ের ৮৭ শতাংশ।ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক ও প্রথম অর্ধেক সময় বেশ ভালো গেল আমাদের।’প্রতি মাসে ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে; তাই বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য এখন সবচেয়ে আকর্ষণের স্থান হচ্ছে ফেসবুক। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী সাইটে এখন আরও বিজ্ঞাপন দেবে ফেসবুক। এ ছাড়া কীভাবে আরও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানো যায়, তাও ভাবা হচ্ছে।প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, বর্তমানে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্র্যান্ড বৈচিত্র্যমূলক বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। যেমন ট্রপিক্যাল এখন ছয় সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। দীর্ঘ বিজ্ঞাপনের চেয়ে ছোট বিজ্ঞাপনই লাভজনক বলে ভাবছে তারা।বর্তমানে ফেসবুকের কর্মীর সংখ্যা সাড়ে ২০ হাজারেরও বেশি, যা গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বেশি।সূত্র: বিবিসি অনলাইন | 328,958 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৯ জুন ২০১৮, ২০:২৬ | ১০ জুন ২০১৮, ১৩:০২ | রবার্তো ফিরমিনো,ব্রাজিল,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮,বিশ্বকাপের তারা | null | তাঁর নাম কেন ‘দুষ্টু ফিরমিনো’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1506561 | ফিরমিনো চুপচাপ থাকতে ভালোবাসেন। অথচ তাঁকে ‘দুষ্টু’ কেন বলছে ব্রাজিলিয়ানরা! সেটা ওয়েসলি সাফাদাওয়ের কারণে। ব্রাজিলের এই সংগীতশিল্পীর নামের অনুকরণে ফিরমিনোর নাম ফিরমিনো সাফাদাও...চার বছর আগের কথা। তুরস্ক ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য কার্লোস দুঙ্গা দলে ডাকেন তাঁকে। তবে রবার্তো ফিরমিনোকে তখন বিখ্যাত হলুদ জার্সিতে স্বাগত জানাতে একদমই রাজি ছিল না ব্রাজিলের মানুষ।সেই সময় ২২ বছর বয়সী ফিরমিনো খেলতেন জার্মানির মাঝারি মানের দল হফেনহেইমে। প্রতিভার কমতি না থাকলেও বুন্দেসলিগার দলটির হয়ে তখনো তাঁর পারফরম্যান্স সাদামাটাই। হন্যে হয়ে রোমারিও, রিভালদো, রোনালদোদের উত্তরসূরি খুঁজতে থাকা ব্রাজিলিয়ানরা অমন একজন স্ট্রাইকারকে আপন করে নেন কী করে! ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে তখন একটাই প্রশ্ন ছিল-কী দেখে ফিরমিনোকে দলে নিলেন দুঙ্গা?ফিরমিনো নিশ্চুপ থাকলেন। তুরস্কের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে হলুদ জার্সিতে অভিষেকও হয়ে গেল তাঁর। শেষ বাঁশির ১৭ মিনিট আগে মাঠে নেমেছিলেন লুইজ আদ্রিয়ানোর বদলি হিসেবে। ছয় দিন পর অস্ট্রিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে নেইমারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। পেয়ে যান ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোলও। দূরপাল্লার শটে করা তাঁর ওই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল (২-১)। ফুটবল-পাগল ব্রাজিলের মানুষ বিজয়ীর গলায় মালা পরাতে ভালোবাসে। অস্ট্রিয়া ম্যাচের পর বন্ধ হয়ে যায় ফিরমিনোর সমালোচনা। ধীরে ধীরে তাঁকে ভালোবাসতে শুরু করেন ব্রাজিলের সমর্থকেরা। আদর করে ডাকনাম দেন, ফিরমিনো সাফাদাও। বাংলা অর্থ-দুষ্টু ফিরমিনো!এই ফিরমিনো চুপচাপ থাকতে ভালোবাসেন। অথচ তাঁকে ‘দুষ্টু’ কেন বলছে ব্রাজিলিয়ানরা! সেটা ওয়েসলি সাফাদাওয়ের কারণে। ব্রাজিলের এই সংগীতশিল্পীর খুব ভক্ত ফিরমেনো। ২০১৬ সালে বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ওয়েসলি সাফাদাওকে নকল করে ‘পনি টেইল’ রেখে খেলতে নেমেছিলেন। সেই থেকেই ফিরমিনো ব্রাজিলিয়ানদের কাছে প্রিয় ‘দুষ্টু ফিরমিনো’।অনেকেই মনে করেন ফিরমিনো ইংরেজিটা ভালো বলতে পারেন না বলে ইউরোপে এসে তাঁর একটা ‘মিডিয়াভীতি’ তৈরি হয়েছে। এ কারণেই কম কথা বলেন। বাবা বেল ফিরমিনোর কথা, ছোটবেলা থেকেই চুপচাপ স্বভাবের তাঁর ছেলে। বেড়ে উঠেছেন ব্রাজিলের অন্যতম দাঙ্গা আর মাদকপ্রবণ এলাকা মাসেইয়োর ত্রাপিচে বস্তিতে। আর্থিক সচ্ছলতা ছিল না পরিবারের। বাবা সৈকতে নানা ধরনের জিনিস ফেরি করে বেড়াতেন, ছোট্ট ফিরমিনো তাঁকে সাহায্য করতেন। এর বাইরে সারাক্ষণই রাস্তায় বল নিয়ে পড়ে থাকতেন ফিরমিনো।বাবার কাজে সাহায্য করলেও খুব একটা কথা বলতেন না ফিরমিনো। বাবা বেল ফিরমিনো সেই সময়ের কথা মনে করেন, ‘খদ্দরদের সঙ্গে যত কথা আমিই বলতাম। ও শুধু পাওনা ওঠাত আর লোকেদের পাওনা টাকা ফেরত দিত।’অথচ সেই ফিরমিনো ছোট থেকেই খুব ফ্যাশন-সচেতন, এখনো তা-ই। বাবা বলেন, ‘আমরা যখন গরিব ছিলাম, সেই সময়ে ও নিজের অপছন্দের কোনো পোশাক পরত না।’ তবে ওয়েসলির মতো ‘পনি টেইল’ আর কখনো রাখেননি ফিরমিনো। কেন? খুব যত্ন নিতে হয়। ফুটবল নিয়ে ভাবার পর এত সময় কোথায়! ফিরমিনো বললেন, ‘আমি সাফাদাওকে পছন্দ করি। কিন্তু চুলের ওই স্টাইল আর করছি না। খুব বেশি যত্ন নিতে হয়!’ চুলের স্টাইল নিয়ে কাজ করবেন কী, এখন তো কথা বলাই আরও কমিয়ে দিয়েছেন। সামনে বিশ্বকাপ না! ফিরমিনোর স্ত্রী লারিসা বলেন, ‘ক্যামেরার বাইরে ও এতটা লাজুক নয়। কিন্তু এখন খুব কম কথাই বলছে। কারণ, ওর সব মনোযোগ এখন খেলায়। বিশেষ করে বিশ্বকাপে।’ব্রাজিলিয়ানের ‘দুষ্টু’ আর লারিসার ‘লাজুক’ ফিরমিনো মাঠে কিন্তু মোটেই অমন নন। সেখানে পা দিয়ে অনেক কথা বলেন। লিভারপুলের জার্সিতে বিদায়ী মৌসুমে ৫৫ ম্যাচে ২৬ গোল তাঁর। করিয়েছেন ১৪টি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ব্রাজিলের ২-০ গোলের জয়েও একটি গোল তাঁর।সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত ফিরমিনো, ‘আমি শতভাগ ফর্মে আছি। সব দিক থেকেই আমার এই মৌসুমটা অসাধারণ। চার বছর আগে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে আমি তরুণ ছিলাম। এখন আমি আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ খেলি। দ্রুতই মানিয়ে নিয়েছি আর অনেক পরিণতও হয়েছি। বিশেষ করে মানসিক দিক থেকে।’ কিন্তু এরপরও বিশ্বকাপের শুরুর একাদশে জায়গা পেতে তাঁকে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এই লড়াইটাকে কীভাবে দেখেন? ফিরমিনোর উত্তর, ‘আমাদের এই লড়াইয়ে ব্রাজিলেরই লাভ।’পরশু লন্ডনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে পেয়ে একের পর এক প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকেরা। এরপরও সংবাদ সম্মেলনের দৈর্ঘ্য মোটে ১৪ মিনিট! ফিরমিনো বলে কথা! সব প্রশ্নের উত্তরই যে দিয়েছেন ঝটপট আর সোজাসাপ্টা। | 366,633 |
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান | education | শিক্ষা | ২০ জুন ২০১৫, ০০:০৪ | ২০ জুন ২০১৫, ০০:০৪ | পড়াশোনা | 0 | বিজ্ঞান | http://www.prothom-alo.com/education/article/557548 | বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়-৯ থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন দেওয়া হলো। অধ্যায়-৯২৬। অনুজ্জ্বল বস্তু কোনটি?ক. যার নিজের কোনো আলো নেই খ. যে আলো শোষণ করেগ. যে আলোর প্রতিসরণ ঘটায় ঘ. যার নিজের আলো আছে২৭। কোন বস্তু দৃশ্যমান হতে হলে আলোক রশ্মিকে প্রথমে বস্তুর ওপর কী হতে হবে?ক. আলো আপতিত খ. আলো প্রতিসরিত গ. আলো প্রতিফলিত ঘ. আলো সমকোণে আপতিত২৮। ‘আলো ছাড়া কোনো কিছু দেখা সম্ভব নয়’—উক্তিটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য?ক. আংশিক সত্যি খ. আংশিক মিথ্যা গ. অযৌক্তিক ঘ. সম্পূর্ণ যৌক্তিক২৯। যেকোনো কালো বস্তুর ধর্ম কী?ক. আলো কম শোষণ করে খ. আলো বেশি শোষণ করেগ. আলো প্রতিফলন করে ঘ. আলো প্রতিসরিত করে৩০। উজ্জ্বল বস্তু—i. কাঠের টুকরা, সূর্য ii. সূর্য, তারাiii. জোনাকি পোকা, বৈদ্যুতিক বাল্বনিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii৩১। কোন ক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মি সমান্তরাল নয়?ক. প্রতিফলণে খ. প্রতিসরণে গ. বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনে ঘ. নিয়মিত প্রতিফলনে৩২। বেশি উজ্জ্বল বস্তু কোনটি?ক. কাঠখণ্ড খ. স্টিলের থালা গ. প্লাস্টিকের থালা ঘ. কাগজের পাতা৩৩। বিক্ষিপ্ত বা ব্যাপ্ত প্রতিফলনের ক্ষেত্রে কোনটি ঘটে?ক. আপতিত রশ্মি ও প্রতিফলিত রশ্মি উভয়ই সমান্তরালখ. আপতিত রশ্মিগুচ্ছ সমান্তরাল নয়, প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ সমান্তরালগ. আপতিত রশ্মিগুচ্ছ সমান্তরাল, প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ সমান্তরাল নয়ঘ. আপতিত রশ্মি ও প্রতিফলিত রশ্মিগুলো সমান্তরাল নয়৩৪। পেরিস্কোপে সংঘটিত আলোকীয় ঘটনার ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?ক. আপতন কোণ ৯০ ডিগ্রি খ. প্রতিফলন কোণ ৬০ ডিগ্রিগ. ৯০ ডিগ্রি কোণে বিসরণ ঘটে ঘ. ঘটনাটি একবার ঘটে।৩৫। নিচের কোনটিতে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব দেখা যাবে?ক. পানির পৃষ্ঠে খ. সাধারণ কাচে গ. স্টিলের প্লেটে ঘ. দর্পণে৩৬। আপতন কোণ বলতে কোনটিকে বোঝানো হয়?ক. আপতিত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্বের মধ্যবর্তী কোণখ. প্রতিফলিত রশ্মি ও দর্পণের মধ্যবর্তী কোণগ. প্রতিফলিত রশ্মি ও আপতিত রশ্মি মধ্যবর্তী কোণঘ. আপতিত রশ্মি ও দর্পণের মধ্যবর্তী কোণ# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালসঠিক উত্তরটি মিলিয়ে নাওঅধ্যায়-৯২৬. ক ২৭. ক ২৮. ঘ ২৯. খ ৩০. গ ৩১. গ ৩২. খ ৩৩. গ ৩৭. গ ৩৫. ঘ ৩৬. ক।সহকারী শিক্ষক, পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পিরোজপুর | 146,646 |
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ০০:১৯ | ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ০০:১৯ | পটুয়াখালী,বিশাল বাংলা | 0 | লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1015501 | পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা থেকে গতকাল রোববার ভোরে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম রাকিব (১৪)। সে ধুলাসার ইউনিয়নের নয়াকাটা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম ইউনুস ভূঁইয়া। রাকিবের পরিবার জানায়, গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে যায় রাকিব। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। গতকাল ভোরে বাড়ির প্রবেশপথে রাকিবের লাশ পাওয়া যায়। মহিপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাকিবের শরীরের পেছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। | 263,195 |
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:২১ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:২২ | নালিতাবাড়ী,শেরপুর,বিশাল বাংলা | 0 | তীব্র শীতে গারো পাহাড়ের মানুষের ভরসা আগুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1059653 | তীব্র শীতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গরিব ও দুস্থ মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এখন পর্যন্ত তাদেরকে সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি।উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত বরুঙ্গা, কালাপানি, শমশ্চুড়া, আন্দারুপাড়া, খলচন্দা ও কোচপাড়া গ্রাম। এসব গ্রামে পাঁচ শতাধিক পরিবারের প্রায় দুই হাজার মানুষ বাস করে। এখানকার অধিকাংশ মানুষ গরিব। দিন আনে দিন খায়। পাহাড় থেকে লাকড়ি সংগ্রহ ও দিনমজুরি করে এদের সংসার চলে। শীতে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। তাই গ্রামের মানুষ প্রতি রাতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে।গত শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচটি গ্রাম ঘুরে কয়েকজন শীতার্ত মানুষের সঙ্গে কথা হয়। কোচপাড়ার দিনমজুর রেশমনি কোচ (৫৫) বলেন, ‘এ বছর প্রচণ্ড শীত পড়ছে। আমরা গরিব মানুষ দিন আইনা দিন খাই। টেহা না থাহায় শীতের কাপড় কিনতে পারি না। সন্ধ্যা হইতেই আগুন জ্বালাইয়া পাড়ার সবাই মধ্যরাত পর্যন্ত বইসা থাকি। আমগর লাইগা শীতের কাপড়ের ব্যবস্থা করলে বিরাট উপকার অয়।’কালাপানি গ্রামের দিনমজুর পিযুষ সাংমা (৬০) বলেন, ‘বিকাল অইতেই শীত জুকের মতো শরীলে কামুড় দিয়া ধরে। শীত সহ্য করবার পাই না। কী করমু, গরম কাপড় কিনারও তো কোনো উপায় নাই। তাই নিরুপায় অইয়া মধ্যরাইত পর্যন্ত আগুন তাপাই। আমগর লাইগা কম্বলের ব্যবস্থা অইলে বিরাট উপকার অয়।’দিনমজুর সেফালি কোচ (৩২) বলেন, ‘তিন সন্তান লইয়া অন্যের বাড়িতে থাহি। নিজের কোনো জমি নাই। দিনমজুরি কইরা সংসার চালাইতে অয়। শীতের কাপড় না থাহুনে সন্তান লইয়া বিরাট কষ্ট করি। আমরা গরিব অসহায় মানুষ। তাই শীতে আগুন ছাড়া উপায় নাই।’শমশ্চুড়া গারোপাড়ার রেবেকা মারাক (৬০) বলেন, ‘সারা দিন কাম কইরা যা পাই তা দিয়া স্বামী-পোলাপান লইয়া সংসার চালাই। টেহার অভাবে শীতের কাপড় কিনবার পাই না। এই পাড়ার শীতে অসহায় মানুষগুলার আগুনই ভরসা।’পোড়াগাঁও ইউপি সদস্য মো. নবী হোসেন বলেন, গারো পাহাড়ের ঢালে বসবাস করে পাঁচ শতাধিক পরিবার। এখানে সবাই গরিব, দিন আনে দিন খায়। টাকার অভাবে শীতের কাপড় কিনতে পারে না। সবাই সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে যার যার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এদের জন্য গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হয়। | 283,579 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ০১ মার্চ ২০১৭, ০০:২৩ | ০৯ আগস্ট ২০১৮, ১৩:১৫ | সম্পর্ক,অধুনা,দুই প্রজন্ম | 0 | তাসমীম রেজার প্রিয় টম হ্যাঙ্কস, মায়ের সালমান শাহ | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1093339 | তাসমীম রেজা। ঢাকার এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। ২০১৭ সালের গণিত উৎসবের জাতীয় পর্যায়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে ‘সেরাদের সেরা (চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস) হয়েছে। ২০১৬ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিকসে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। তাঁর মা মমতাজ রেজা গৃহিণী। এবারের দুই প্রজন্মে থাকছে এই মা-ছেলের পছন্দ-অপছন্দের কথা।১. পছন্দের অভিনয়শিল্পী কারা?তাসমীম রেজা: টম হ্যাঙ্কস, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।মা: সালমান শাহ, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, শাবনূর, অজয় দেবগনের অভিনয় ভালো লাগে।২. প্রিয় খেলা...তাসমীম রেজা: ক্রিকেট।মা: আমারও ভালো লাগে ক্রিকেট খেলা।৩. প্রিয় খেলোয়াড় কে?তাসমীম রেজা: সাকিব আল হাসান।মা: দেশের সব ক্রিকেট খেলোয়াড়কে ভালো লাগে।৪. প্রিয় রং কোনটি?তাসমীম রেজা: রঙের ব্যাপারে আমার কোনো বাছবিচার নেই। সব রং ভালো লাগে।মা: আমার পছন্দ লাল আর কালো।৫. প্রিয় ঋতু...তাসমীম রেজা: শীতই আমার খুব পছন্দ।মা: আমার শীত-গ্রীষ্ম দুটিই ভালো লাগে। একেক ঋতুর একেক বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য আমি খুব উপভোগ করি।৬. প্রিয় খাবার...তাসমীম রেজা: সাদা ভাত আর বুটের ডালের সঙ্গে মাংস।মা: চীনা খাবার।৭. প্রিয় ফল...তাসমীম রেজা: আপেল আর কলা।মা: আমার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আমের দেশে যার জন্ম, বেড়ে ওঠা তার প্রিয় ফল আম না হয়ে কি পারে!সাক্ষাৎকার: এম এ হান্নান | 298,420 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার ও নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৬ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৭ | বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা | 0 | আশুলিয়া ও বন্দরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1055815 | ঢাকার আশুলিয়ায় বাসের চাপায় কোহিনুর বেগম নামের এক নারী মারা গেছেন। গতকাল রোববার নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কের ডেন্ডাবর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। একই দিন নারায়ণগঞ্জের বন্দরে লোহাবোঝাই লরির চাপায় এক পথচারী নিহত হন।আশুলিয়ায় নিহত নারীর নাম কোহিনুর বেগম (৫০)। তিনি ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল মালেকের স্ত্রী। পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কোহিনুর বেগম ডেন্ডাবর এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে চাপা দেয়।এদিকে বন্দরে নিহত পথচারীর (২৮) পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকালে রাস্তা পারাপারের সময় চট্টগ্রাম থেকে আসা লোহাবোঝাই লরি ওই পথচারীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। | 281,599 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ মে ২০১৪, ১৩:৫২ | ০১ মার্চ ২০১৮, ১৫:০৭ | অপরাধ | null | র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/218446 | নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার র্যা ব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাঁদনী রূপম এ আদেশ দেন।এর আগে দুপুর দুইটার দিকে ওই দুইজনকে একই আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাঁদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে আজ ভোররাতের দিকে মিলিটারি পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তাকে তাঁদের ঢাকা সেনানিবাসের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ ঘটনায় অবসরে পাঠানো নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও র্যা বের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ তাঁর অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। সাত খুনের ঘটনার পর র্যা ব-১১-এর এই তিন কর্মকর্তাকে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত নেওয়া হয়৷ তারপর তাঁদের অবসরে পাঠানো হয়। ১১ মে হাইকোর্ট তাঁদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন ওই নির্দেশের পরপর ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামত চেয়ে প্রতিরক্ষা সচিবকে চিঠি পাঠায়। ১৫ মে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই চিঠির জবাব দেওয়া হয়৷ এতে বলা হয়, ‘আপনাদের সদয় অবগতির জন্য উল্লেখ করা যাচ্ছে যে হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদ্বয় সম্পর্কে দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।’গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন আরও একজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করে নজরুলের পরিবার। ৪ মে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র্যা বের তিন কর্মকর্তা ওই সাতজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন।ভোররাতে গ্রেপ্তার সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তাআইনি প্রক্রিয়া শেষ হলো না ছয় দিনেওহাইকোর্টের নির্দেশের পরও গ্রেপ্তার হননি তিন কর্মকর্তার্যা বের সেই তিন কর্মকর্তা যেকোনো সময় গ্রেপ্তারব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে দুই কোটি টাকা দাবিদুই সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিষয়ে চিঠি নারায়ণগঞ্জের্যা বের বিরুদ্ধে অপহরণ-খুনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি | 73,838 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৫:৪৪ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ১২:৪৭ | ফুটবল,ক্রোয়েশিয়া,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮,বিচিত্র বিশ্বকাপ | null | মন ছুঁয়ে গেলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1534706 | বিশ্বকাপ জিতল কে? ফ্রান্স না ক্রোয়াট প্রেসিডেন্ট কলিন্দা গ্রাবার-কিতারোভিচ! ফাইনালে তিনি ভালোবাসার বাতারণ ছড়িয়ে দিয়েছেন। বৃষ্টিতে ভিজে দুই দলের সব খেলোয়াড়কে স্নেহময় আলিঙ্গনে জয় করে নিয়েছেন গোটা দুনিয়ার হৃদয়।বিশ্বকাপটা ফ্রান্স জিতল নাকি জিতলেন কলিন্দা গ্রাবার-কিতারোভিচ! লুঝনিকির ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ছিল ক্রোয়েশিয়া, কিন্তু কোটি মানুষের মন জয় করা ক্রোয়াট প্রেসিডেন্ট কিতারোভিচ ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এতটাই যে খেলা শেষে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে তাঁর একের পর এক খেলোয়াড়দের আলিঙ্গন করার মুহূর্তগুলোকে বলা হচ্ছে ‘বিশ্বকাপেরই সেরা দৃশ্য।’প্রায় প্রতি ম্যাচেই ক্রোয়েশিয়া দলকে মাঠে থেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন। ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাওয়ায় সেমিফাইনাল মিস করেছেন। ফাইনালে আবারও তাঁর সহাস্য উপস্থিতি। সে হাসি থামেনি ক্রোয়েশিয়া ৪-২ গোলে হেরে যাওয়ার পরও।ক্রোয়েশিয়ার জার্সি পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আসেন কিতারোভিচ। গলায় পদক পরে একে একে যখন খেলোয়াড়েরা সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন—সবাইকেই কাছে টেনে আলিঙ্গন করেছেন। ফ্রান্সের খেলোয়াড়, রেফারি-লাইন্সম্যানদেরও বাদ দেননি। ক্রোয়াট খেলোয়াড়দের প্রতি বাড়তি আবেগ থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক।এ সময় বৃষ্টি একটু রসিকতা করল। ফাইনাল যখন চলছিল, তখন না এসে সেটি এল কিনা তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রেখে! পুতিনের মাথার ওপর একটু পরেই বেশ কয়েকটি ছাতা মেলে ধরা হলেও কিতারোভিচের সেটির দরকার পড়েনি। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই সৌহার্দ্যের সুবাস ছড়িয়েছেন।ফাইনাল শেষে ওই দৃশ্য যেন মন ছুঁয়ে গেল সবার। কেউ লিখেছেন, ‘তিনি সমর্থকদের আরও আবেগপ্রবণ করেছেন।’ কারও মন্তব্যটাও হয়েছে আবেগময়, ‘বিশ্বকাপের সেরা দৃশ্য। মাথার ওপর ছাতা নেই...তার মধ্যেই কলিন্দা গ্রাবার-কিতারোভিচ ক্রোয়েশিয়া-ফ্রান্স দুই দলের খেলোয়াড়দেরই একের পর এক আলিঙ্গন করে যাচ্ছিলেন। এখানে ছিল না কোনো রাজনীতি, ছিল শুধুই খেলা।’ | 370,703 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২২:০৮ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২৩:০৪ | অপরাধ | 0 | রাজধানীতে নারীর লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/45143 | রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে আজ রাত সাড়ে নয়টার দিকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।ওই নারীর নাম সায়রা খাতুন (২৭)।তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলায় বলে জানা গেছে।পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে মিরপুর ১১ নম্বরের পাঁচ নম্বর অ্যাভিনিউয়ের একটি নির্জন স্থান থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরে আঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা।ঘটনার কারণ ও নারীর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। | 14,578 |
সাইফুর রহমান, বরিশাল | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ জুলাই ২০১৩, ০৩:০১ | ২৪ জুলাই ২০১৩, ০৩:০৫ | ইফতার,বরিশাল | 0 | পাটিসাপটার সঙ্গে শাহি জর্দা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/29042 | বরিশালে ইফতারের আয়োজনে চিড়াগুড়ের শরবত থাকতেই হবে। তবে ইফতারে বুট-মুড়ি-পিঁয়াজুর সঙ্গে ঐতিহ্য হিসেবে স্থান করে নিয়েছে পাটিসাপটা পিঠা এবং শাহি জর্দা। পাটিসাপটা দামে সস্তা ও সহজলভ্য। ইচ্ছা করলে ঘরে বসেও পাটিসাপটা তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু শাহি জর্দার জন্য অবশ্যই নাজেম ইফতারি ঘরে যেতে হবে। ইফতারে হরেক রকম পদের সঙ্গে শোভা বাড়ায় পাটিসাপটা ও শাহি জর্দা।আভিজাত্য ও ব্যতিক্রম হিসেবে শাহি জর্দা, ছানার পোলাও, তেহারি, কালো ভুনা, মুরগির কালিয়া, গরুর কালো ভুনা, চিকেন পুলি, বোরহানি ও হালিমের জুড়ি নেই। এর সঙ্গে চিকেন তন্দুরি, ফিশ ফিঙ্গার, চিকেন নাগেট, চিকেন গ্রিল, চপ, কাটলেটসহ ৩০-৩৫ পদের ইফতারির আয়োজন থাকে।বরিশাল নগরে ইফতারের স্থায়ী দোকানের সংখ্যা কম। তবে রোজা উপলক্ষে নগরের সর্বত্রই ইফতার মেলে। বেলা দুইটা থেকে কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কের নাজেম ইফতারি ঘর, সদর রোডে সকাল-সন্ধ্যা, রয়েল রেস্তোরাঁ, গৌরনদী মিষ্টান্ন ভান্ডার, রোজ গার্ডেন, গার্ডেন ইন, ইন, গোড়াচাঁদ দাস সড়কে ওল্ড স্পাইস ফুড ভিলেজ, হেমায়েতউদ্দিন সড়কে ওয়াজেদিয়া, আকাশ, পুলিশ লাইন সড়কে রিভার ক্যাফে, বেস্ট ফুডসহ নগরের সব ইফতারের দোকানে ভিড় লেগে যায়।সকাল-সন্ধ্যার ব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার জানান, পাটিসাপটা পিঠা তৈরির জন্য শুকনো চালের গুঁড়া প্রয়োজন হয়। চালের গুঁড়ার সঙ্গে পানি, গুড় অথবা চিনি মিশিয়ে তরল করতে হয়। এরপর হালকা তেলে ভাজতে হয়। এর আগে দুধ অথবা নারকেল মিশ্রিত ক্ষীর তৈরি করে রাখতে হয়। এরপর এই ক্ষীর দিয়ে পেঁচিয়ে তৈরি হয় পাটিসাপটা পিঠা। দাম স্থান ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা।নাজেম ইফতারির স্বত্বাধিকারী ফরিদুর রহমান জানান, বাবা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাচক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। তাঁর ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যতিক্রমী ইফতারির আয়োজন থাকছে প্রতিবছর। সবচেয়ে বেশি চাহিদা শাহি জর্দার। এরপরে তেহারি, হালিম, গরুর কালো ভুনা, ফিরনি ও জিলাপি।এই দোকানের সহযোগী পাচক আনোয়ার হোসেন জানান, বরিশালে জর্দার প্রচলন দীর্ঘদিনের। সাধারণ জর্দার চেয়ে শাহি জর্দার স্বাদ ও গন্ধ ভিন্ন। শাহি জর্দা তৈরি হয় চিনিগুঁড়া চাল দিয়ে।বরিশালের ইফতারিতে পাকওয়ান পিঠা নামে একটি পদ চালু আছে। একসময় ঘরে ঘরে এই পিঠা তৈরি হতো। এই পিঠা এখন দোকানেও বিক্রি হচ্ছে। রসাল এই পিঠা প্রতিটি ১৫ থেকে ২৫ টাকায় করে বিক্রি হয়।সদর রোড এলাকার গৌরনদী মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী সুদাম ঘোষ জানান, বিক্রির তালিকায় শীর্ষে পাটিসাপটা। এরপর ছানার পোলাও, চিকেন পুলি, মাটন চপ ও অন্যান্য পদ।বাড়িতে পাটিসাপটার সঙ্গে অন্যান্য ইফতার সামগ্রী তৈরি হলেও ক্রেতা শহীদুল ইসলামের পছন্দ গরুর কালিয়া, চিকেন পুলি, মাটন চপ ও হালিম। প্রায়ই তিনি নাজেম ইফতারির এসব সামগ্রী কিনে নেন। শহীদুল জানালেন, নাজেমের ইফতার সামগ্রীর দাম একটু বেশি। তবে মানের দিক থেকে ভালো।নাট্যজন ও ভোজনরসিক সৈয়দ দুলাল বলেন, বরিশালে ইফতারের ঐতিহ্য বলতে গেলে চিড়াগুড়ের শরবতই প্রধান। বর্তমানে পাটিসাপটা, পাকওয়ান পিঠা, জর্দা ও ফিরনি ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। | 4,721 |
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মার্চ ২০১৬, ০০:৫৪ | ০৭ মার্চ ২০১৬, ০১:৫৫ | রায়গঞ্জ,সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/791083 | সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় তিন দিনব্যাপী প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসাসেবা গতকাল রোববার শুরু হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল আখতার। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রবিউল করিম। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাছরিন, প্রতিবন্ধীবিষয়ক কর্মকর্তা ফারজানা তাজ প্রমুখ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র সিরাজগঞ্জের সহায়তায় মোবাইলভ্যান থেরাপি ক্যাম্পেইনয়ের আওতায় প্রতিবন্ধীদের ওই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা প্রদানকারী দলের সমন্বয়কারী আশরাফুজ্জামান বলেন, প্রথম দিনেই ১৮০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। | 208,583 |
সিলেট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০৯ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০৯ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সহনশীলতার অভাবে রসাতলে যাচ্ছে দেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/455551 | চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরের মীরাবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সেমিনারে এই আহ্বান জানানো হয়।বিকেল চারটায় পলিটিক্যাল ফেলো অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এ সেমিনার শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস-উন-নূর। এ ছাড়া চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারের সঞ্চালনা করেন সেজিন ওয়াজিয়া হোসেন।বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দুষ্টচক্রে দেশের মানুষ আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বড় দুই রাজনৈতিক দলের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি জনগণ ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছে। রাজনৈতিক সহনশীলতার অভাবে রসাতলে যাচ্ছে দেশ। তাঁরা আরও বলেন, বিরোধী দলগুলোকে রাজনৈতিক অধিকার চর্চার সুযোগ সরকারকে করে দিতে হবে। আবার এ সুযোগে দলগুলো যেন কোনো সহিংসতা চালাতে না পারে, সেটাও বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। হরতাল-অবরোধ বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। আন্দোলনের নামে কেউ সহিংসতা দেখতে চায় না। চলমান পরিস্থিতিতে কেউই শান্তিতে নেই।ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঝুঁকিমুক্ত একটা ব্যবসা হচ্ছে রাজনীতি—রাজনীতিবিদদের চালচলনে অন্তত তাই মনে হয়। বাচ্চা জন্ম নিলে আমরা জন্মের নাড়ি কাটি আর রাজনীতিবিদেরা তাদের লজ্জা-শরম কেটে ফেলেছে। তাই সাধারণ মানুষ নিয়ে তারা ছেলেখেলা করছে।’ | 116,833 |
মো. শরিফুল ইসলাম | life-style | জীবনযাপন | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০৫ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০৫ | অধুনা,পরামর্শ | 0 | শীতে ঠোঁট ও পা ফাটা প্রতিরোধ | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1052115 | শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব শুধু শরীরের ওপরই পড়ে না, ঠোঁটের ওপরও পড়ে ভীষণভাবে। অনেকের আবার শুধু শীতকালই নয়, সারা বছরই ঠোঁট শুষ্ক থাকে ও ফাটে। এটা খুবই বিরক্তিকর সমস্যা।শীতের ঠান্ডা হাওয়া ছাড়াও আরও কিছু বিষয় আছে, যা ঠোঁট ফাটাকে ত্বরান্বিত করে বা বাড়িয়ে দেয়। যেমন বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট চাটার অভ্যাস, ধূমপান, পুষ্টিহীনতা ও ভিটামিনের অভাব, প্রখর সূর্যের তাপ ও পানিশূন্যতা, রেটিনয়েড-জাতীয় ওষুধ সেবন। বিভিন্ন চর্মরোগ—যেমন চিলাইটস ও পরিপাকতন্ত্রের রোগ আছে, তাঁদেরও বেশি ঠোঁট ফাটে।এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা খাতুন বলেন, শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের গোড়ালির ত্বক অনেক বেশি শক্ত। শীতে ত্বকের শুষ্কতা ও ধুলাবালির প্রকোপে গোড়ালি আরও বেশি শক্ত হয়ে পড়ে। এ থেকেই শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তবে পরিচ্ছন্নতা ও নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে পা ফাটার সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।’কী করবেন ঠোঁট ফাটলে?ঠোঁট ফাটা এমন একটি সাধারণ সমস্যা, যার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার তেমন কোনো প্রয়োজন হয় না। কিছু বিষয়ে সচেতনতা থাকলে নিজেরাই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। যেমন:*এই আবহাওয়ায় নিয়মিত লিপ বাম, পেট্রোলিয়াম জেলি ইত্যাদি ব্যবহার করুন।*প্রতিদিন পানিশূন্যতা রোধে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করবেন।*খুব ঠান্ডা হাওয়া থেকে মুখ বাঁচাতে স্কার্ফ পরতে পারেন।*প্রখর সূর্যালোকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সানব্লক ব্যবহার করবেন।*শীতের দিনে ঠোঁটে প্রসাধনী যেমন: লিপস্টিক ব্যবহার করতে সতর্ক হোন। এগুলো যেন বেশি শুষ্ক বা ম্যাট না হয়।*জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর চেষ্টা করবেন না বা ঠোঁটের চামড়া টেনে ওঠাবেন না।এ সময় আরও একটি সমস্যা—সেটা হলো পা ফাটার কষ্ট। কারও কারও এই পা ফাটা এত বেশি হতে পারে যে রক্ত বেরোয় এবং ফাটা অংশ দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করে পায়ে ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রমণ করতে পারে।কেন পা ফাটে*পুরো শরীরের মধ্যে পা ও এর তলা সবচেয়ে শুষ্ক। কেননা দেহের অন্যত্র ত্বকের মাঝে তৈলগ্রন্থি থাকলেও পায়ের তালুতে তা নেই। কেবল ঘর্মগ্রন্থি আছে। ঠান্ডার দিনে ঘামও তেমন হয় না বলে পায়ের তলার আর্দ্রতা সহজে বিনষ্ট হয়। ফলে পা শুষ্ক হয়ে পড়ে ও ত্বক ফেটে যায়।*পা যখন ফাটে, তখন ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, চুলকাতে পারে। এমনকি পায়ের ত্বক খোসার মতো উঠে গিয়ে ঝরে পড়তে পারে। কখনো রক্তাক্ত হতে পারে, ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।কারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে?শীতকালে যেকোনো মানুষেরই পা ফাটে, কিন্তু কারও কারও এই সমস্যা খুব বেশি প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে। যেমন: যাঁদের থাইরয়েডে সমস্যা আছে, তাঁদের এমনিতেই ত্বক খুব শুষ্ক থাকে, একই কথা ডায়াবেটিসের রোগীদের বেলায়ও প্রযোজ্য। ডায়াবেটিসে স্নায়ুজনিত সমস্যায় পায়ের আর্দ্রতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অনুভূতিতেও সমস্যা দেখা দেয়। তাই অনেক সময় পায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়ে ঘা বা গ্যাংগ্রিন পর্যন্ত হতে পারে। যাঁদের সোরিয়াসিস, অ্যাকজিমা বা কোনো চর্মরোগ আছে, তাদের পায়ে সমস্যা বেশি হয়। বয়স্ক ব্যক্তিদের পা ফাটার সমস্যা বেশি।পা ফাটা প্রতিরোধে পরামর্শ*খুব ঠান্ডা আবহাওয়ায় পায়ে মোজা পরুন।*প্রতিদিন গোসল বা পা ভেজানোর পর শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। গোড়ালি ও তালুতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন মাখুন। বিশেষ করে রাতের বেলা ঘুমানোর আগে অবশ্যই গোড়ালি ও তালুতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন মাখুন।*সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিন। গামলায় লেবুর রসমিশ্রিত হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে, পা ঘষে মৃত কোষ ফেলে দিন। লেবুর রসে যে সাইট্রিক অ্যাসিড আছে তা মৃত কোষ ঝরতে সাহায্য করবে। তারপর পা মুছে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।*জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।লেখক: চিকিৎসক | 280,206 |
মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৫ | ২৬ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৬ | মতলব দক্ষিণ,চাঁদপুর,বিশাল বাংলা,চট্টগ্রাম বিভাগ,আইন ও বিচার | 0 | তিনজনের কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/612595 | চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মাদক সেবনের দায়ে তিন ব্যক্তির প্রত্যেককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার রাত আটটায় উপজেলা পরিষদে তাঁদের এ দণ্ড দেওয়া হয়। ওই আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন লাল মিয়া (৪৫), শাহাদাত হোসেন (২৫) ও মো. রিয়াজ উদ্দিন (২০)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার ছটাকি গ্রামে। গত সোমবার সন্ধ্যায় ছটাকি গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে মাদক সেবনের সময় পুলিশ তাঁদের আটক করে। | 163,278 |
সারোয়ার মোর্শেদ, পাবনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৪৪ | ১৫ আগস্ট ২০১৬, ২২:৫৫ | -1 | null | ‘জঙ্গি’ মারজানের পরিচয় মিলেছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/947089 | ঢাকার গুলশান হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন জঙ্গি মারজানের পরিচয় মিলেছে। তাঁর পুরো নাম নুরুল ইসলাম মারজান। বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র। এ বছরের জানুয়ারিতে বাড়ি গিয়ে বিয়ে করে বাড়িছাড়া হন। সেই থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই বলে বাবা-মায়ের দাবি।মারজানের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পুলিশ তাঁর ছবি প্রকাশ করেছিল। এরপর আজ সোমবার তাঁর সম্পর্কে তথ্য মিলল।মারজানদের গ্রামে গিয়ে প্রতিবেশী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মারজানের বাবার নাম নিজাম উদ্দিন। তিনি গেঞ্জির কারিগর। মায়ের নাম সালমা খাতুন। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে মারজান দ্বিতীয়।মারজানের বাবা-মা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আর্থিক অনটনে বেড়ে উঠেছেন মারজান। গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে তিনি পাবনা শহরের পুরাতন বাঁশবাজার আহলে হাদিস কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে দাখিল ও আলিম পাস করেন। এরপর ২০১৪ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে। এ বছরের জানুয়ারিতে শেষবারের মতো বাড়ি গিয়েছিলেন। তখন খালাতো বোন প্রিয়তিকে বিয়ে করেন। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন। এই আট মাসে পরিবারের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি তিনি।মারজানের বাবা নিজাম উদ্দিনের দাবি, পত্রিকায় ছবি প্রকাশের পর তিনি ছেলের বর্তমান অবস্থার কথা জানতে পারেন। এর আগ পর্যন্ত তিনিসহ পরিবারের লোকজন কেউ কিছু জানতেন না। তিনি বলেন, ছেলে অপরাধ করলে যা শাস্তি হয় হবে। এতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। তবে মারজানকে যারা জঙ্গি বানিয়েছে তিনি তাদেরও শাস্তি চাইলেন।মারজানের মা সালমা খাতুন বলেন, ‘আমার বেটা কুনু খারাপ কাজ করতে পারে, তা আমার ভাবনাতিও আসে নাই। কুনুদিন সে কোনো অন্যায় কাম করে নাই। কেন যে বেটা এই পথে গেল, সিডাই আমার প্রশ্ন।’এ প্রসঙ্গে পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরাও জানতে পেরেছি যে তাঁর বাড়ি পাবনাতে। বিষয়টি অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’আরও পড়ুনগোয়েন্দা জালে মারজান!গুলশান হামলায় নতুন নাম মারজানগুলশান হামলার ‘আরেক পরিকল্পক’ মারজান | 249,852 |
রিয়াদুল করিম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:১৬ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৩৫ | রাজনীতি,আন্দোলন,বিএনপি | null | আন্দোলনের বিকল্প দেখছে না বিএনপি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1394766 | রাজপথে আন্দোলন ছাড়া সামনে কোনো উপায় দেখছে না বিএনপি। দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একটি অংশ মনে করছে, পরিস্থিতি যাই হোক আগামী জাতীয় নির্বাচনেও অংশ না নিলে দল বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে বিএনপি।বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানায়, আগামী বছর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তি, খালেদা জিয়ার মামলার রায়, ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি—এ বিষয়গুলো সামনে রেখে বছরজুড়ে মাঠে থাকতে চায় বিএনপি। খালেদা জিয়াও দলের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এরই মধ্যে আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দলের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলায় সফর শুরু করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।বিএনপির নেতারা মনে করছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে। এর পরবর্তী পরিস্থিতি কী হয়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। এ সময় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের তরফ থেকে দল ও জোট ভাঙার চেষ্টা হতে পারে।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র জানায়, মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে তা আইনি ও রাজনৈতিক দুভাবেই মোকাবিলা করা হবে। তবে কী ধরনের কর্মসূচি আসবে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। রায় ঘোষণার তারিখ দেওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আপাতত নির্দেশনা হচ্ছে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হওয়ার দিন নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকতে হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার রায় হলে খালেদা জিয়া বেকসুর খালাস পাবেন। তাঁদের সন্দেহ, সরকার রায় প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে।রায় বিপক্ষে গেলে বিএনপি কোনো কর্মসূচিতে যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, এত আগেভাগে এটি বলা যাবে না।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, এখন সরকার যে অবস্থানে তাতে দাবি আদায় করা মোটেও সহজ হবে না। খালেদা জিয়ার মামলার রায় পরবর্তী সময়ে বিএনপির জন্য আরও কঠিন সময় আসতে পারে। দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানেরও দেশে ফেরার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, আন্দোলন ছাড়া সামনে কোনো পথ নেই। তবে আন্দোলনের বিষয়ে দলটির কর্মপরিকল্পনা বা পথনকশা এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি।এনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি সমঝোতার কথা বলছে। কিন্তু মনে হয় না সরকার সমঝোতায় আসবে। এখন সামনে আন্দোলন ছাড়া বিএনপির উপায় নেই। বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির প্রস্তাব আছে। এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।বিএনপির সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করবে বিএনপি। এরপর থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে থাকতে চায় দলটি। সভা, সমাবেশ, বিভাগীয় সফরের মতো কর্মসূচি পালন করা হতে পারে। তবে এবার টানা হরতাল-অবরোধ বা জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো কর্মসূচিতে যেতে চায় না বিএনপি। আর আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে হতে পারে চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এ সময় নির্বাচনকেন্দ্রিক ব্যস্ততা থাকবে। বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতি বুঝে বড় কর্মসূচির দিকে যাওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আগামী বছর হবে গণতন্ত্রের বছর। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বছর। তাঁর দাবি, ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপির শক্তিশালী নেতৃত্বে জনগণ কঠোর অবস্থান নেবে। | 349,253 |