author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
কূটনৈতিক প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৪, ২০:০০ | ২১ আগস্ট ২০১৪, ২২:৪০ | -1 | 0 | ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসছেন শনিবার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/297082 | ভারতের পররাষ্ট্র, পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং আগামী শনিবার দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পর এটি হবে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের দ্বিতীয় সফর। গত জুনে সুষমা স্বরাজ ঢাকা সফর করেন।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী রোববার ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘এ নিউ ফেইজ ইন বাইলেটারেল রিলেশনস’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন বি কে সিং।ভারতীয় হাইকমিশনের সহায়তায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি), কলকাতা ও ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করছে। দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিষয়ে দুই দেশের জ্যেষ্ঠ নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা সম্মেলনে আলোচনা করবেন।ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ভি কে সিং ছাড়াও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ও ত্রিপুরা রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী এ সম্মেলনে যোগ দেবেন। | 86,642 |
-1 | education | শিক্ষা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:৫৮ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:০৮ | পড়াশোনা | 0 | প্রশ্ন করো, উত্তর জানো | http://www.prothom-alo.com/education/article/622570 | প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্যপ্রিয় পরীক্ষার্থী, বিষয়ভিত্তিক সমস্যা ও পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নাম, বিদ্যালয়ের নাম, ঠিকানাসহ লিখে পাঠাও। উত্তর ছাপা হবে পড়াশোনা পাতায়। উত্তর দেবেন অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ।প্রশ্ন পাঠাবে নিচের ঠিকানায়—পড়াশোনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।অথবা, ইমেইল- porasona@prothom-alo.info | 166,092 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ জুন ২০১৫, ০২:৪৬ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১০:৫৫ | -1 | 0 | একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা জারি, ৬ জুন থেকে আবেদন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/543859 | ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৬ জুন। চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত।যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে, তাদেরও একই সময়ে আবেদন করতে হবে। তবে যাদের পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন হবে, তারা ২১ জুন ভর্তির আবেদন করতে পারবে। ভর্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ জুন। বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি ও ফি জমার শেষ সময় ৩০ জুন। আর ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নীতিমালাটি দেওয়া হয়েছে। এবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ৩০০ জন শিক্ষার্থী আছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে অথবা টেলিটকে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, তারাও অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে।অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ১৫০ টাকা আবেদন ফি টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রম দিতে পারবে। অন্যদিকে খুদে বার্তার ক্ষেত্রে প্রতি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে।আন্তশিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তির কাজটি সমন্বয় করছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনের ক্ষেত্রে www. xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনে দেওয়া পছন্দক্রম থেকে শিক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে ভর্তির কলেজ নির্ধারণ করা হবে। এ কাজে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কারিগরি সহায়তা নেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদন বা খুদে বার্তা পাওয়ার পর কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান তার আসনসংখ্যার সমান ভর্তিযোগ্য প্রার্থীর মেধাক্রম তালিকা (বোর্ড থেকে নেওয়া) কলেজের নোটিশ বোর্ড ও নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করবে। মোট আসনে নির্বাচিত কোনো প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি না হলে বা অন্য কোনো কারণে আসন শূন্য হলে বোর্ড শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ওই শূন্য আসনের দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করবে।আগের মতো এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি হবে, কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা হবে না। তবে নটর ডেম কলেজ এর আগে আদালতের রায় নিয়ে একাধিকবার ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে। ভর্তি ফি কোথায় কত: সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সব মিলিয়ে মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার, ঢাকা ছাড়া অন্য মহানগর এলাকায় তিন হাজার এবং ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। তবে ঢাকা মহানগরে অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার, ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নেওয়া যাবে। | 143,993 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০১ জুলাই ২০১৮, ০১:৫১ | ০১ জুলাই ২০১৮, ১৪:২৯ | ফুটবল,উরুগুয়ে,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮,পর্তুগাল | null | রোনালদোদের বিদায় করে উরুগুয়ে শেষ আটে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1522221 | পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে। এই হারে পর্তুগালের সঙ্গে বিদায় নিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও। জোড়া গোল করেছেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানিআগের ম্যাচে বিদায় নিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-সমর্থকদের মনে তাই ভীতিটা ছিল। একই রাতে পর্তুগালকেও বিদায় নিতে হবে না তো! শেষ পর্যন্ত এই ভীতিটাই সত্য হলো। ‘ক্ল্যাসিক’ এডিনসন কাভানির জোড়া গোলে মেসির পথেই হাঁটতে হলো রোনালদোকে। পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে উরুগুয়েও উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।শেষ ষোলোর এ লড়াইয়ের ভাগ্য যে মূলত তিনজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করছে তা অনুমিতই ছিল। পর্তুগালের ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ রোনালদো বনাম উরুগুয়ের কাভানি-সুয়ারেজ জুটি। রোনালদোকে রক্ষণে বোতলবন্দী রাখার পরীক্ষায় পাস করে গেছেন উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেজ। প্রথমার্ধে উরুগুয়ের বক্সে রোনালদোকে বল ছুঁতে দেয়নি গোডিন-জিমিনেজ-ক্যাকেরেসদের রক্ষণ। বিরতির পর শেষ দিকে কয়েকবার উরুগুয়ের বক্সে ঢুকেও গোল আদায় করতে পারেননি রোনালদো। ৩৩ বছর বয়সী এই তারকার সম্ভবত এটাই শেষ বিশ্বকাপ। খালি হাতেই ফিরতে হলো তাঁকে।রোনালদো এ জন্য পর্তুগিজ রক্ষণকে দুষতে পারেন। পেপে-ফন্তে-পেরেইরাদের রক্ষণ যে প্রথমার্ধেই সুয়ারেজ-কাভানি জুটিকে আটকে রাখতে পারেনি। ৭ মিনিটে দলীয় আক্রমণের ধারাবাহিকতায় বাঁ প্রান্ত থেকে বাতাসে ক্রস ভাসিয়েছিলেন সুয়ারেজ। উদ্দেশ্য, ডান প্রান্তে বক্সের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা কাভানি। উরুগুয়ে স্ট্রাইকার যেন ওত পেতে ছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, কাভানিকে বাধা দেওয়ার মতো পর্তুগিজ রক্ষণে কেউ ছিল না! সুযোগ বুঝে কিছুটা লাফিয়ে দারুণ হেডে বলটা জালে পাঠাতে তাঁর কোনো সমস্যাই হয়নি। কাভানি যে দ্বিতীয় গোল পেতে পারেন, সেটা আন্দাজ করা গেছে অ্যাটাকিং থার্ডে তাঁর নিবেদন দেখে। বক্সে বল পেলেই ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন পর্তুগিজ-সমর্থকদের।সেই ভীতিটা সত্যি হয়েছে ৬২ মিনিটে। এবারও পর্তুগালের এক ডিফেন্ডারের ভুল হেডের সুযোগ নিয়ে ফার্নান্দো স্যান্টোসের রক্ষণভাগকে চেপে ধরেন সুয়ারেজ-বেনতাঙ্কুর-কাভানি। পর্তুগিজ বক্সের সামনে ডান প্রান্ত থেকে বেনতাঙ্কুরের ডিফেন্স চেরা পাসকে কাভানি যেভাবে গোলে পরিণত করেছেন, তা ‘লা সেলেস্তে’ সমর্থকদের মনে থাকবে অনেক দিন।কোণটা দুরূহ ছিল, কাভানি তাই বুটের ডগা দিয়ে বাঁকানো শটে বলটাকে শুধু বাতাসে ভাসিয়ে গেঁথে দেন পর্তুগিজ-সমর্থকদের হৃদয়ে। বলটা জালে জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটা পর্তুগিজ–সমর্থকদের বুকে শেল হয়েই বিঁধেছে। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। তার আগে ৫৫ মিনিটে হেডে সমতাসূচক গোল করে পর্তুগালের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন পেপে। কিন্তু সেই আশার অপমৃত্যু ঘটেছে কাভানির দুর্দান্ত গোলে। যোগ করা সময়ে পর্তুগাল গোল করার দুটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি।চোট না পেলে কাভানি হয়তো হ্যাটট্রিকও তুলে নিতে পারতেন। ৭০ মিনিটের পরপরই খোঁড়াতে দেখে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেন তাবারেজ। কাভানির মাঠ ছাড়ার দৃশ্যটিও মনে রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। উরুগুয়ে স্ট্রাইকার মাঠের বাইরে গেছেন রোনালদোর কাঁধে ভর করে—ফ্রেমে বেঁধে রাখার মতো এক মুহূর্ত!এরপর বেশ কটি গোলের সুযোগ পেয়েছে পর্তুগাল। বিশেষ করে ৮০ মিনিটের পর থেকে তাঁরা বারবার আক্রমণ করেছে উরুগুয়ে রক্ষণে। পাওলো গেরেরে তো ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল মেরেছেন উড়িয়ে। উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা বক্সের জটলার মধ্যে ‘গ্রিপ’ করতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান গেরেরো। পোস্ট ফাঁকা পেয়েও তিনি কীভাবে বল বাইরে মারলেন, তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। এ ছাড়া যোগ করা সময়ে রিকার্ডো কারেসমার শট তো প্রায় ঢুকেই যাচ্ছিল জালে। কিন্তু গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরার দৃঢ়তায় উরুগুয়ে সেযাত্রায় রক্ষা পায়।তাবারেজের রক্ষণ কতটা শক্তিশালী, তার প্রমাণ পরিসংখ্যান। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি উরুগুয়ে। এই ম্যাচে পেপের গোলটি ছাড়া উরুগুয়ে রক্ষণের ভুল নেই। তবে রোনালদো এই রক্ষণ ভাঙতে কম চেষ্টা করেননি। গোটা ম্যাচে তিনি ৬টি শট নিয়েছেন, যা গোটা উরুগুয়ে দলের নেওয়া শটসংখ্যার চেয়ে একটি বেশি। কিন্তু উরুগুয়ের গোলপোস্টে রাখতে পেরেছেন মাত্র ২টি শট। প্রথমার্ধে বলে মোট ২৪টি ‘টাচ’ করেছেন রোনালদো। কিন্তু এর একটাও উরুগুয়ে বক্সের মধ্যে নয়।আবেগবাদী ফুটবলপ্রেমীরা তাই এখন ভাবতেই পারেন, অলক্ষ্যে বসে এই চিত্রনাট্য বুঝি আগেই লেখা ছিল! আগের ম্যাচে বিদায় নিলেন মেসি। পরের ম্যাচে সেই পথে হাঁটলেন মেসিরই প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো। এখন প্রশ্ন হলো, এটাই কি তাঁদের শেষ বিশ্বকাপ হয়ে থাকল? জবাবটা শুধু তাঁরাই জানেন। যদিও দুজনের বয়সের অঙ্ক বলছে, কাতার বিশ্বকাপে তাঁদের না-ও দেখা যেতে পারে। ৩১ বছর বয়সী মেসির ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা কিছুটা উঁকি দিলেও রোনালদোর ক্ষেত্রে তা নেই বললেই চলে। সে ক্ষেত্রে শেষ ষোলো থেকেই সেরা দুই তারকার বিদায়ে বিশ্বকাপ কি রং হারাল?তা তো কিছুটা হারালোই। তবে বিশ্বকাপ এমন টুর্নামেন্ট যেখানে তারকাদের বিদায়ের মঞ্চেই নতুনের জন্ম হয়। মেসি-রোনালদো না হয় নেই, কাভানি-সুয়ারেজ কিংবা এমবাপ্পেরা আছেন তো! একনজরে উরুগুয়ে একনজরে পর্তুগাল | 368,998 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:২৯ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:৩৩ | আইন ও বিচার | 0 | জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি ১৮ ফেব্রুয়ারি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/766813 | বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ এর জেরা অব্যাহত আছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন একই আদালত। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে তাঁর আইনজীবী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আজ জেরা করেন। শুনানির আগামী ধার্য তারিখেও এই জেরা অব্যাহত থাকবে। | 200,600 |
নেত্রকোনা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:০১ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২১ | নেত্রকোনা,রাজনীতি,বিশাল বাংলা,ঢাকা বিভাগ | 0 | যুবলীগের সমাবেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1072221 | নেত্রকোনায় জেলা যুবলীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির কর্মী সমাবেশ হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে শহরের ছোট বাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ খান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূর খান, সাবেক প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য বিদ্যুৎ চন্দ্র পাল ও কুন্তল সরকার প্রমুখ। | 289,614 |
রাজবাড়ী (গোয়ালন্দ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:১৩ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:১৪ | -1 | 0 | প্রবল স্রোতে ফেরি বন্ধ, ভাঙনে বিলীন গ্রাম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/933715 | পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার এক নম্বর ফেরিঘাট মঙ্গলবার দিবাগত রাত নয়টা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। স্রোতের আঘাতে ফেরিঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজীর পাড়ার গ্রামের বেশ কিছু বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামের লোকজন মালামাল নিয়ে সরে গেছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাট থেকে কিছুটা দূরে নদীর পাশে চর ছিল। কিন্তু চর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় স্রোত সরাসরি ঘাটে আঘাত হানছে। রাত নয়টা থেকে এক নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটা রেকার দিয়ে পন্টুনকে আটকে রাখা হয়েছে। | 246,198 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ জুলাই ২০১৬, ০২:২৬ | ২৪ জুলাই ২০১৬, ০২:২৭ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে আইটি কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/923785 | তিন দিনব্যাপী ‘প্রাণ মি. ম্যাঙ্গো ১ম এসিসি আইটি কার্নিভ্যাল-২০১৬’ গতকাল শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে শেষ হয়েছে। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বেসিসের চেয়ারম্যান মোস্তাফা জব্বার আইটি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি আইটি বিষয়ে এ ধরনের একটি সুন্দর কার্নিভ্যাল আয়োজন করার জন্য আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে ধন্যবাদ জানান।এই উৎসবে দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী প্রতিযোগী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে প্রোগ্রামিং, ওয়াল ম্যাগাজিন, সাইবার গেমিং, আইসিটি অলিম্পিয়াড, কুইজ, প্রজেক্ট ডিসপ্লের মতো নানা ধরনের আকর্ষণীয় ইভেন্টস ছিল।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তামিম আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। আইএসপিআর। | 242,800 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৬ জুন ২০১৭, ১০:৪৫ | ০৬ জুন ২০১৭, ১০:৪৬ | এশিয়া | null | অস্ট্রেলিয়ায় ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ বন্দুকধারীসহ নিহত ২ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1207311 | অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক বন্দুকধারী হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। ওই বন্দুকধারী একজন নারীকে জিম্মি করেছিলেন। পুলিশ ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে মনে করছে। বন্দুকধারীর গুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশ সেখানে যায়। অ্যাপার্টমেন্টের খোলা জায়গায় এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অ্যাপার্টমেন্টে এক নারীকে জিম্মি করে রাখা বন্দুকধারী ব্যক্তিকে পরে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। জিম্মি হওয়া নারীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।নিহত বন্দুকধারীর নাম ইয়াকুব খায়রি। জিম্মির ঘটনার সময় তিনি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পক্ষে কাজ করছেন বলে জানান। আইএসের পক্ষ থেকেও এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো এ ঘটনায় আইএসের সঙ্গে নিহত ব্যক্তির জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াকুব অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। মেলবোর্নের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। এরপর বন্দুক ঠেকিয়ে এক নারীকে জিম্মি করেন। ইয়াকুবের গুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ভিক্টোরিয়ার প্রধান পুলিশ কমিশনার গ্রাহাম অ্যাশটন জানান, ইয়াকুব একজন চিহ্নিত অপরাধী। ২০০৯ সালে সিডনি সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাকে হামলার পরিকল্পনার দায়ে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এক অভিযোগে জেলে আটক ছিলেন। তবে গত বছর প্যারোলে মুক্তি পান ।এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। তিনি এ ধরনের অপরাধীদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়ারও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে এমন একজন অপরাধী প্যারোলে মুক্তি পান? যাঁর বিরুদ্ধে সহিংস কার্যক্রমের এত অভিযোগ আছে। এ বিষয়টিতে এখনই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের দেখতে হবে, দেশের জন্য যাঁরা ক্ষতিকর, তাঁরা যেন প্যারোলে মুক্তি না পান।’ | 321,785 |
হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৪২ | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৪৩ | হাকিমপুর,দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ঢাকা-পার্বতীপুর বিশেষ ট্রেন ১৩ অক্টোবর থেকে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/53910 | পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা-পার্বতীপুর-ঢাকা রেলপথে বিশেষ ট্রেন ১৩ অক্টোবর থেকে চলাচল করবে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তবে ১১ অক্টোবর থেকে এ পথে চলাচলকারী কোনো ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে না। আন্তনগর ট্রেন নীলসাগর, দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।বর্তমানে আন্তনগর নীলসাগর, দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেন এ পথে নিয়মিত চলাচল করছে। পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনমাস্টার শেখ আবদুল জব্বার গতকাল সোমবার দুপুরে বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে রেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা-পার্বতীপুর-ঢাকা রেলপথে ঈদ বিশেষ ট্রেন নামে একটি আন্তনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে পার্বতীপুর রেলস্টেশন থেকে ঈদের বিশেষ ট্রেনটি ঈদের আগের তিন দিন অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর থেকে ঈদের পরের সাত দিন চলাচল করবে।তিনি আরও বলেন, ট্রেনটি ঈদের এ কয়েক দিন পার্বতীপুর স্টেশন থেকে সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে এবং ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছাবে বেলা তিনটা ৪০ মিনিটে। আবার সেখানে এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট অবস্থান করার পর বিকেল পাঁচটা ২০ মিনিটে পার্বতীপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। রাত তিনটায় পার্বতীপুরে পৌঁছাবে।হিলি রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার ইমদাদুল ইসলাম বলেন, বিশেষ ট্রেনের নয়টি বগিতে আসনসংখ্যা হবে ৬৪০টি। ট্রেনে চেয়ার ও সাধারণ নামে দুটি শ্রেণী থাকবে। টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে চেয়ার ৪০৫ টাকা এবং সাধারণ ৩৪০ টাকা। | 22,707 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৩:০৮ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:১৮ | ভারত | 0 | বাঘের পায়ে কৃত্রিম থাবা | http://www.prothom-alo.com/international/article/1423286 | শিকারিদের ফাঁদে পড়ে থাবা হারানো একটি বাঘের কৃত্রিম থাবা সংযোজন করতে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সিলিকন এই থাবা দেখতে স্বাভাবিক থাবার মতোই মনে হবে এবং তা খুলেও যাবে না। বাঘের ক্ষেত্রে এই প্রথমবার অঙ্গ সংযোজনের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে ভারতে।আজ শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে বলা হয়, পুরুষ বাঘটির থাবা সংযোজনের জন্য অস্ত্রোপচারে অংশ নেবেন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পশু ও মৎস্যবিজ্ঞান–বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ অর্থোপেডিক সার্জন ও প্রথম সারির প্রাণী চিকিৎসকেরা। আট বছর বয়সী বাঘটির নাম সাহেব রাও । ২০০ কেজি ওজনের বাঘটি এখন মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুর জেলার গোরওয়াদা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। রাজ্যের চন্দ্রপুর জেলায় বাঘের জন্য সংরক্ষিত এলাকা তাদোবা-আঁধারি টাইগার রিজার্ভের বাইরে ২০১২ সালে শিকারিদের পেতে রাখা ধাতব ফাঁদে পড়ে থাবা হারায় সাহেব রাও। তখন বাঘটির বয়স ছিল দুই বছর। ওই ফাঁদে পড়ে তার ভাই মারা যায়। সামনের দিকে বাঁ থাবায় জখমসহ উদ্ধার করা হয় বাঘটিকে। পরে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে শহরের মহারাজবাগ চিড়িয়াখানায় তাকে স্থানান্তর করা হয় এবং গোরেয়াদায় আনা হয় ২০১৬ সালের ১ জুন। সাহেব রাও দেশটির সবচেয়ে বড় বাঘ বলে দাবি করা হচ্ছে।অর্থোপেডিক সার্জন ডা. সুশ্রুত বাভুলকার জানান, বিশ্বজুড়ে এ ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন কুকুর ও হাতির ক্ষেত্রে হয়েছে। তবে বাঘের ক্ষেত্রে এটাই প্রথম। বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান জার্মানির এও ফাউন্ডেশন থেকে কৃত্রিম থাবা কেনা হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃত্রিম থাবাটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যে এটা দেখতে প্রাকৃতিক মনে হবে এবং পশুরা এটা খুলে ফেলতে পারবে না। সংযোজনের পর এটায় কোনো ইনফেকশনও হবে না। স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বেড়াতেও এটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে। | 353,727 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩০ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩১ | হলিউড,ভালোবাসা দিবস,সম্পর্ক | 0 | ভালোবাসা দিবসে পেরি–ব্লুমের আংটিবদল | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1579403 | কেটি পেরি ও অরল্যান্ডো ব্লুম বাগদানের জন্য বেছে নিলেন ভালোবাসা দিবসকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি কেটিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে পার্টিতে হীরার আংটি পরিয়ে দেন ব্লুম। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় সংগীতশিল্পী পেরি ও হলিউড অভিনেতা ব্লুমের সম্পর্ক।২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় কেটি পেরি ও অরল্যান্ডো ব্লুমের সম্পর্ক। ফেব্রুয়ারি থেকেই এই দুজনকে নিয়মিত একসঙ্গে বিভিন্ন পার্টি ও নৈশভোজে হাত ধরাধরি করে অংশ নিতে দেখা যায়। সে সময় পেরি ও ব্লুম একে অপরকে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে জানান। কিন্তু ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই দুই তারকার মুখপাত্র পৃথকভাবে জানান, এক বছরের প্রেমের পর সম্পর্ক ভেঙে গেছে এই দুজনের। কিন্তু একই বছরের আগস্টে একসঙ্গে এড শিরানের কনসার্ট দেখতে গিয়ে পেরি ও ব্লুম ধরা পড়েন পাপারাজ্জির ক্যামেরায়। এরপর ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে আবারও দুই তারকার প্রেমের গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করে। তবে গুঞ্জন সত্যি প্রমাণিত হয় যখন ব্লুম ও পেরি এপ্রিলে একসঙ্গে ভ্যাটিকান সিটিতে গিয়ে পোপের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর থেকে আর কোনো লুকোচুরি নেই। কেটি পেরি বিভিন্ন সময় অরল্যান্ডোর ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তাঁকে নিয়ে লিখতেন প্রেমময় কথা। অন্যদিকে ব্লুমও কেটির প্রশংসা করে করে ক্লান্ত হতেন না।এর আগে কেটি পেরি বিয়ে করেছিলেন মার্কিন কৌতুকাভিনেতা রাসেল ব্র্যান্ডকে। আর অভিনেত্রী ও মডেল মিরান্ডা কেরের সঙ্গে সংসার বেঁধেছিলেন অরল্যান্ডো ব্লুম। কিন্তু তিন বছর ধরে কেটি ও ব্লুম আছেন একসঙ্গেই। বাগদানের মধ্য দিয়ে এই একসঙ্গে থাকা এক নতুন নাম পেল। পিপল। | 390,710 |
প্রতিনিধি, কলকাতা | international | আন্তর্জাতিক | ১২ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৫ | ১২ মার্চ ২০১৯, ১৫:২৪ | ভারত,লোকসভা নির্বাচন,তৃণমূল কংগ্রেস,বিজেপি,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | null | মমতা সরব, দীপা নিশ্চুপ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1583023 | ভারতের নির্বাচন কমিশনের আসন্ন লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজ্য সচিবালয় নবান্ন ছাড়ার সময় মমতা বলেন, ‘সাত দফার ভোট বিজেপির একটি গেম প্ল্যান। বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে এই সাত দফার ভোট। কিন্তু তাতে কিছু হবে না তৃণমূলের। তৃণমূল এই রাজ্যের ৪২টি আসনেই জিতবে।’ মমতা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।মমতা বলেন, ‘তফসিল যা হয়েছে, তা বিজেপির গেম প্ল্যান। বাংলাকে ডিস্টার্ব করা বিজেপির প্ল্যান। কিন্তু আমি খুব খুশি। ওরা এর ফল পাবে। আমরা ৪২টির মধ্যে ৪২টিই জিতব। বাংলাকে অসম্মান করার বিজেপির এই প্ল্যান আমরা নস্যাৎ করে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি মনে করে, বাংলার মানুষ ঘাসে মুখ দিয়ে চলে। কিছু বোঝে না। বাংলার মানুষ যে কত বুদ্ধিমান, তা তারা আগে অনেকবার বুঝিয়েছে, এবার আরও বোঝাবে।’ গত রোববার বিকেলে ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩টি আসনের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন। ঘোষণায় বলা হয়, এবার নির্বাচন হবে সাত দফায়। শুরু হবে ১১ আগামী এপ্রিল। শেষ হবে ১৯ মে। আর ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২৩ মে।তবে পশ্চিমবঙ্গের তফসিলে সন্তুষ্ট হতে পারেনি তৃণমূল। নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গের পৌরমন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম দলের পক্ষে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেন, শুধু সাত দফায় পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনই নয়, রমজানের মধ্যেও নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে। এবারের এই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে ভোট নেওয়া হবে সাত দফায়, যা আগে কোনো লোকসভার নির্বাচনে হয়নি। ২০১৪ সালে ভোট নেওয়া হয়েছিল পাঁচ দফায়। অথচ তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে এক দফায়। আবার ত্রিপুরা ও মণিপুরে দুটি করে আসন থাকলেও সেখানে ভোট নেওয়া হচ্ছে দুই দফায়।রোজার মাসে বহু মানুষ ভোট দিতে পারবেন না—এমনটা মনে করেন ফিরহাদ হাকিম। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘রমজানের সময় বহু মানুষ ভোট দিতে পারবেন না। বিজেপি চায় না মুসলিমরা ভোট দিক।’ এর আগে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘এই নির্ঘণ্ট নিয়ে আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। অসুবিধা সাধারণ মানুষের। এত দিন ধরে ভোট চলবে। রমজানের মধ্যেও ভোট হচ্ছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ এবং বিহার রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষদের অসুবিধা নিয়ে চিন্তিত।’রমজান মাসে ভোট নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের জবাব দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, রমজানে ভোট এড়াতে গেলে এক মাস পিছিয়ে যেত ভোটপ্রক্রিয়া। ফলে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গোটা ভোটপ্রক্রিয়া শেষ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াত। তাই রমজানের বিশেষ দিনগুলোয় ভোট গ্রহণ এড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া শুক্রবারে ভোটের তারিখ দেওয়া হয়নি।তৃণমূলের রমজান নিয়ে ভোট গ্রহণের বিরোধিতার জবাব দিয়েছে এআইএমআই দলের নেতা সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েসি। তিনি বলেছেন, ‘রমজানে ভোট গ্রহণ নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে কয়েকটি দল। তাদের বলব, নিজেদের রাজনৈতিক লাভের জন্য পবিত্র রমজানকে ব্যবহার করবেন না। রমজানে মুসলিমদের ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয় না।’দীপা দাসমুন্সী বিজেপিতে?এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সাবেক সাংসদ ও প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর স্ত্রী দীপা দাসমুন্সীকে নিয়ে। দীপা চেয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ আসনে কংগ্রেসের হয়ে লড়তে। কিন্তু এই আসনের বর্তমান সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি সিপিএম দলের সাংসদ। ফলে, কংগ্রেস-বাম দলের আসন সমঝোতা সূত্রে এই আসন পাচ্ছে সিপিএম। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে কংগ্রেস। তবে আসনটি সিপিএমের হাতে থাকায় এবারও এই আসনে সিপিএম প্রার্থীকে লড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।এদিকে দীপা দাসমুন্সীকে নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি দীপা দাসমুন্সী বিজেপিতে যোগ দিয়ে রায়গঞ্জ আসনে লড়বেন? গতকাল রাতে দীপা দাসমুন্সী দিল্লিতে বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেননের বাড়িতে যান—আর এতে এই আশঙ্কা আরও উসকে উঠেছে। এরপরই খবর ছড়িয়ে পড়ে, দীপা দাসমুন্সী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।সংবাদমাধ্যম সূত্রে আজ মঙ্গলবার বলা হয়েছে, বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন দীপা দাসমুন্সীকে বলেছেন, তাঁকে রায়গঞ্জ আসন থেকেই বিজেপি মনোনয়ন দেবে। তিনি যদি জিততে পারেন এবং বিজেপি সরকার গড়লে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে দীপা দাসমুন্সীর কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। | 393,557 |
নয়াদিল্লি প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ১৪ মার্চ ২০১৫, ০০:৪০ | ১৪ মার্চ ২০১৫, ০০:৪১ | ভারত | 0 | লাকভির মুক্তিতে ভারতের তীব্র অসন্তোষ | http://www.prothom-alo.com/international/article/476053 | মুম্বাই হামলার মূল চক্রান্তকারী জাকি উর রহমান লাকভির মুক্তিতে ভারত তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট লাকভিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানি হাইকমিশনার আবদুল বাসিতকে ডেকে পাঠিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।লাকভির মুক্তির সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, এই রায় মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ভারত এখনো মনে করে, পাকিস্তান লাকভির মামলাটা ঠিকমতো লড়েনি।নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার (এলইটি) শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার লাকভিকে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার মূল চক্রী মনে করে পুলিশ। ২০০৯ সাল থেকে তিনি পাকিস্তানের জেলে বন্দী। ভারতের অভিযোগ, অকাট্য প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ লাকভির মামলাটা দায়সারাভাবে লড়েছে। এর ফলেই গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত তাঁকে জামিন দেয়। ভারত তখনই প্রতিবাদ জানায়। হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশের প্রবল আপত্তির কথা জানিয়ে দেয়। পাকিস্তান সরকার এরপর ফের লাকভিকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু হাইকোর্ট সেই গ্রেপ্তার আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট লাকভিকে জেলে রাখার নির্দেশ দেয়।গতকাল হাইকোর্ট লাকভিকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার পর ভারত তার অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানালেও শেষ পর্যন্ত আর তেমন কিছুই করার নেই। ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, লাকভির বিরুদ্ধে ভারত অকাট্য সব প্রমাণ পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ মামলাটা ঠিকমতো লড়েনি।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘পাকিস্তান জেগে ঘুমোয়। তাদের জাগানো কঠিন।’পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে পাকিস্তানি হাইকমিশনার আবদুল বাসিত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘নিম্ন আদালতে লাকভি জামিন পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু মামলা এখনো শেষ হয়নি। আমরা তা শেষ করার চেষ্টা করছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হোক।’বাসিতের বক্তব্যে নয়াদিল্লিতে ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান সরকার উচ্চতর আদালতে যাওয়ার সম্ভাবনা খুলে রেখেছে। এই সম্ভাবনা সম্পর্কে ভারত অবশ্য বিশেষ আশাবাদী নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রের মতে, পাকিস্তান সরকার তার সদিচ্ছার কোনো নজির আগেও রাখেনি, এখনো রাখবে বলে মনে হয় না। তারা কে ভালো সন্ত্রাসী, কে খারাপ সন্ত্রাসী এই বিভেদে ব্যস্ত। ভারত মনে করে না কোনো সন্ত্রাসীই ভালো হতে পারে।লাকভির বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে পাকিস্তানের কাছে ভারত যা তুলে দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ছিল মুম্বাই আসা জঙ্গিদের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে কথাবার্তার নমুনা। কিন্তু পাকিস্তান কখনো সেই কথোপকথনকে অকাট্য প্রমাণ হিসেবে স্বীকার করেনি। শুধু লাকভিই নয়, হাফিজ সাইদের বিরুদ্ধে ভারতের দেওয়া প্রমাণগুলোও পাকিস্তান অকাট্য বলে মানেনি। আদালতও তা মানতে অস্বীকার করেছে। | 123,004 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জুলাই ২০১৬, ১৭:০৭ | ১২ জুলাই ২০১৬, ১৭:১৩ | সরকার | null | পারস্পরিক সহযোগিতা এখন জরুরি: ওবায়দুল কাদের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/912025 | সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে এফবিআইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারব, এমনটি ভাবছি না। পরস্পরের সহযোগিতা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত। যেসব বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা কম এবং টেকনিক্যাল সাপোর্টের অভাব রয়েছে, সেসব বিষয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, উন্নত সব দেশ থেকেই সহায়তা নেওয়া হবে।’আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় বিআরটিএর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গিবাদ সমস্যা বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়; এটা আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিকভাবে পারস্পরিক তথ্য, টেকনিক্যাল সহযোগিতা আদান-প্রদান হতেই পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। কী কী বিষয় আদান-প্রদান হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে না পারলে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার নির্মাণ কোনো কাজে আসবে না।’ তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কে থ্রি হুইলার, নছিমন, করিমন, ভটভটি কোনো অবস্থায়ই চলতে দেওয়া হবে না।উগ্রবাদ দমনে পুলিশের সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা আনতে পুলিশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট রোধ করা যাবে না।এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছরোয়ার আলম, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) বদরুল আলম মোল্লা, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি শরীফুল ইসলাম প্রমুখ। | 239,187 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ জুন ২০১৭, ০০:১২ | ৩০ জুন ২০১৭, ০০:১২ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | 0 | ১৬২ বছর পূর্ণ হলো সাঁওতাল বিদ্রোহের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1232966 | ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন। ভারতের দামিন-ই-কোহ্ এলাকা। সেখানে ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষকের বিরাট জমায়েত। তাঁদের দাবি, ‘জমি চাই, মুক্তি চাই’। যা থেকে শুরু হয় বিদ্রোহ। এ বিদ্রোহ হয়ে উঠেছিল সব সম্প্রদায়ের গরিব জনসাধারণের মুক্তিযুদ্ধ।আজ ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসের ১৬২তম বছর পূর্ণ হলো। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের এ দেশীয় দালাল সামন্ত-জমিদার, সুদখোর ও তাদের লাঠিয়াল বাহিনী, দারোগা-পুলিশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সাঁওতাল নেতা সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব—এই চার ভাইয়ের নেতৃত্বে রুখে দাঁড়ান সাঁওতালেরা।ভারতের ভাগলপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার প্রায় দেড় হাজার বর্গমাইল এলাকা দামিন-ই-কোহ্ বা ‘পাহাড়ের ওড়না’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন ভগনা ডিহি গ্রামে ৪০০ গ্রামের প্রতিনিধি ও ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষকের বিরাট জমায়েত হয়। এই জমায়েতে সিধু-কানু ভাষণ দেন। এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অত্যাচারী শোষকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। এখন থেকে কেউ জমির খাজনা দেবে না এবং প্রত্যেকের যত খুশি জমি চাষ করার স্বাধীনতা থাকবে। আর সাঁওতালদের সমস্ত ঋণ এখন বাতিল হবে।১০ হাজার সাঁওতাল কৃষক সেদিন শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছিলেন। ভগনা ডিহি গ্রামের ওই সভার শপথ ছিল বিদ্রোহের শপথ। বিদ্রোহের মূল দাবি ছিল, ‘জমি চাই, মুক্তি চাই’। তাঁদের এ বিদ্রোহের সঙ্গে যোগ দেন এলাকার শোষিত, বঞ্চিত বাঙালি ও বিহারি হিন্দু-মুসলমান গরিব কৃষক ও কারিগরেরা। সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়ে উঠেছিল সব সম্প্রদায়ের গরিব জনসাধারণের মুক্তিযুদ্ধ।বিস্তীর্ণ বরেন্দ্র অঞ্চলের সাঁওতালসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ ও দেশের বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উদ্যাপন করে। দিবসটি উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল আদিবাসী একাডেমি ও সদর উপজেলার টংপাড়ার গ্রামবাসী, রাজশাহীর মুন্ডুমালায় সাঁওতাল পারগানা পরিষদ, রাজশাহীর জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, নওগাঁর আঘোর বালাতৈর এলাকায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উদ্যাপন পরিষদ, ধামইরহাটে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, সাপাহারে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। | 323,421 |
-1 | sports | খেলা | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:১৭ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:১৮ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | পেশা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/442630 | বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০০৯ সালেও আয়ারল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার অ্যালেক্স কুসাক কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি হওয়ার পরই পুরোপুরি ক্রিকেটে মন দেন অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার। | 112,460 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৩১ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৩১ | খবর | 0 | ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের বৈঠক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/628465 | ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের শক্তিশালী সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক সমঝোতা ও বিশ্বাস। এ কারণে দেশ দুটি আন্তরিক আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। খবর এনডিটিভির।নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হকের সঙ্গে এক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় চুক্তিরও প্রশংসা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে যে যদি মৎস্যজীবীরা নিজ নিজ দেশের জলসীমানা অতিক্রম করে, তাহলে তাদের দেশে ফেরত যেতে সহায়তা করা উচিত। | 167,832 |
শাহাদুজ্জামান | opinion | মতামত | ১৬ জুলাই ২০১৭, ০১:৫৪ | ১৬ জুলাই ২০১৭, ০১:৫৬ | চিরকুট,শাহাদুজ্জামান | 0 | শামীম আখতার ও ‘রীনা ব্রাউন’ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1253376 | গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকে যেসব চলচ্চিত্রপ্রেমী তরুণ-তরুণী ছিলেন, তাঁদের কাছে রীনা ব্রাউন নামটা খুব পরিচিত। স্কার্ট পরে, পনিটেইল চুল নাচিয়ে পর্দায় এই নামে হাজির হয়েছিলেন সুচিত্রা সেন সপ্তপদী চলচ্চিত্রে। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মায়াবী সেই মেয়ে এখনো চোখে ভেসে আছে সেই প্রজন্মের মানুষের। রীনা ব্রাউনকে সম্প্রতি আবার পর্দায় ফিরিয়ে আনলেন চলচ্চিত্রকার শামীম আখতার এই নামেই তাঁর নতুন চলচ্চিত্রে। ফিরিয়ে আনলেন বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতির আলোয়, আনলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।চলচ্চিত্রটি নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম আলোচনা হয়েছে বলেই মনে করি। নির্মাণশৈলীর দিক থেকে চলচ্চিত্রটি বিশেষত্বের দাবি না করলেও চলচ্চিত্রটির গুরুত্ব এর ব্যতিক্রমী বিষয়বস্তুর জন্য। বাংলাদেশে সীমিত সক্রিয় নারী চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে শামীম আখতার অন্যতম। আশির দশকে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র আন্দোলন যখন হয়ে উঠেছিল সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনেরই একটা ধারা, তখন শামীম আখতার ছিলেন তার পুরোভাগে। চলচ্চিত্রের ওপর সামরিক নানা কালাকানুন, সাম্প্রদায়িক আদর্শের সেন্সর বোর্ড, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীতে বাধা ইত্যাদির বিরুদ্ধে তখন সোচ্চার চলচ্চিত্র সংসদকর্মীরা। মিছিলে, পত্রিকার লেখায়, জনসভায় চলেছে এর প্রতিবাদ। শামীম আখতার তখন প্রবলভাবে সক্রিয় সেই আন্দোলনে।তাঁর ব্যক্তিত্বের আকর্ষণে তখন বহু তরুণ-তরুণী পুরান ঢাকার ভিড় ঠেলে জড়ো হয়েছেন তাঁর কাপ্তানবাজারের বাড়িতে। পুরোনো বাড়ির লাল রঙের শীতল মেঝেতে অগণিত চড়ুই পাখির কোলাহলে শামীম আপার সঙ্গে আমারও বহুবার তুমুল আড্ডা হয়েছে সাহিত্য, চলচ্চিত্র, রাজনীতি নিয়ে। তাঁকে তখন দখল করে আছে মুক্তিযুদ্ধের ভাবনা। আমরা তখন এমন একটা সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি, যখন দেখতে পাচ্ছি যে মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ নামক দেশটার জন্ম হয়েছে সেই যুদ্ধ পর্বটাকে চোখের সামনে একটু একটু করে মুছে ফেলা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক নেতাদের নাম উচ্চারণ করা তখন বারণ, বইয়ের পাতায়, পত্রিকায় পাকিস্তানি বাহিনী কথাটা লেখা থাকে না, মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পান। এমন একটা সময়ের প্রেক্ষাপটে মোরশেদুল ইসলামের আগামী কিংবা তানভীর মোকাম্মেলের হুলিয়া নামের চলচ্চিত্র নেহাত একটা নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণের গল্প নয়, সেটা একটা বিশেষ সময়ের বৈরী স্রোতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চিহ্ন। সেই ধারাবাহিকতাতেই শামীম আখতার একসময় নির্মাণ করলেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী নারী সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র শিলালিপি, করলেন যুদ্ধশিশু নিয়ে চলচ্চিত্র ইতিহাসকন্যা এবং সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রীনা ব্রাউন। তাঁর রীনা ব্রাউন চলচ্চিত্রের এক চরিত্র বলে, ‘তুমি ওই এক মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই আটকে আছ।’ হয়তো তা–ই, শামীম আখতারও বুঝি ওই মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই আচ্ছন্ন, ঘোরগ্রস্ত আছেন।কেউ কেউ তো এমন ঘোরগ্রস্ত থাকবেন। কারণ, তাঁরা জানেন বাংলাদেশ নামক মানচিত্রের রাজনীতি, শিল্পসাহিত্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, উন্নয়ন যে পথেই করতে চাই না কেন, আমাদের ফিরে ফিরে আসতে হবে এই রাষ্ট্রজন্মের গোড়ার কথায়। বর্তমানকে বুঝতে, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে আমাদের অতীতকে স্পর্শ করতেই হবে। কারণ, পথ চলতে চলতে আমরা প্রায়ই বিভ্রান্ত হই, অতীত বিস্মৃত হই। শামীম আখতার তাঁর রীনা ব্রাউন চলচ্চিত্রে আমাদের আবার নিয়ে গেছেন অতীতের সেই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে।অভিনব কোনো কাহিনি নয়। একটি ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেম। সংকট এই যে তাদের ধর্মীয় পরিচয় ভিন্ন। মেয়েটি অ্যাংলো খ্রিষ্টান, ছেলেটি মুসলমান। দারা নামের মুসলমান ছেলেটি স্যান্ড্রা নামের অ্যাংলো খ্রিষ্টান মেয়েটিকে ডাকে রীনা ব্রাউন, সপ্তপদীর সেই সুচিত্রাকে স্মরণ করেই। তাদের ভালোবাসা, সম্পর্ক, পারিবারিক টানাপোড়েন যখন চলছে, তখন এ দেশেও একটা ক্রান্তিকাল। পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের বিরোধ। এরপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ছেলেটি যুদ্ধে যায়। ওদিকে তছনছ হয়ে যায় মেয়েটির পরিবারও, পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের সবকিছু, পালিয়ে বেড়াতে হয় তাদের। একসময় শেষ হয় যুদ্ধ। যুদ্ধের পর বাংলাদেশ নতুন করে যাত্রা শুরু করলেও রীনা ব্রাউনের পরিবারের জন্য সে যাত্রা সুখকর হয় না। সংখ্যালঘু হিসেবে নানা বাধার ভেতর পড়তে হয় তাদের। একসময় রীনা ব্রাউন দেশ ত্যাগ করে। তারপর পেরিয়ে যায় অনেক বছর। বহু বছর পর দেশে ফিরে এলে আবার দেখা হয় সেই মেয়ে আর ছেলেটির। প্রৌঢ়কালে তাদের সেই দেখার ভেতর দিয়ে শুরু হয় ছবি এবং ফ্ল্যাশব্যাকের মাধ্যমেই আমরা জানতে পাই মুক্তিযুদ্ধকালীন সেই গল্প। এ ছবির একটা বাড়তি পাওয়া সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের দক্ষ অভিনেতা বরুণ চন্দের উপস্থিতি। তাঁর বিপরীতে তাঁর প্রেমিকার চরিত্রের বয়সের ব্যবধানের ব্যাপারটা প্রশ্নসাপেক্ষ হয়ে উঠতে পারত কিন্তু প্রমা পাবনী তাঁর চমৎকার অভিনয়ে সে সুযোগ দেননি।বলছিলাম, চলচ্চিত্রটির গুরুত্ব এর ব্যতিক্রমী বিষয়বস্তুর জন্য। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে কিন্তু আমার জানামতে এই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ দেশের অনালোচিত এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অ্যাংলো খ্রিষ্টানদের গল্প চলচ্চিত্রে তুলে আনা হলো। অ্যাংলো খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অগণিত মানুষ একসময় আমাদের ভেতর মিশেছিলেন ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরে। ক্রমে হারিয়ে গেছেন তাঁরা। বাংলাদেশ নামের এই স্বাধীন দেশটি নির্মাণের জন্য তাঁদেরও আছে গভীর আত্মত্যাগের গল্প। সুযোগ ছিল যুদ্ধের ভেতর দিয়ে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ নামের এই নতুন দেশ হয়ে উঠবে একটা উদার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নমুনা রাষ্ট্র। আশপাশের দেশ সফল হোক আর না হোক, সম্ভাবনা ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে সমন্বয়বাদিতার যে ঐতিহ্য, তাকে আরও পুষ্ট করে তুলবে।কিন্তু ক্রমে আমরা কেমন সংকীর্ণ মানসিকতার একটা দেশ হয়ে উঠলাম, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষের দেমাগে সংখ্যালঘু মানুষ থাকে অপমানে, ভয়ে। পালানোর পথ খোঁজে। এই চলচ্চিত্রের মুক্তিযোদ্ধা চরিত্র দারা বলে, ‘একটা কমিউনিটিকে দেশছাড়া করতে বাধ্য করতেই কি যুদ্ধ করেছিলাম?’এই দেশের ঠিক পরিচয়টা কেমন হবে এই নিয়ে আমরা যখন তর্ক করছি, তখন শামীম আখতার আমাদের স্মরণ করিয়ে দিলেন আমাদের দেশে, আমাদের এই মাটিতেই রীনা ব্রাউন নামে আমাদের এক হারিয়ে যাওয়া বোন ছিল, যে এ দেশেরই ঘাসে পা ফেলে ফেলে বলত, ‘ভালোবাসা মানে স্বাধীনতা।’শাহাদুজ্জামান: কথাসাহিত্যিক।zaman567@yahoo.com | 326,653 |
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ মার্চ ২০১৪, ০১:২৫ | ৩১ মার্চ ২০১৪, ০১:৩৩ | শরীয়তপুর,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা | 0 | তিন শিশুর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/181077 | শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরসেন্সাস ইউনিয়নের নতুন বালারবাজার গ্রামে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। গত শনিবার বিকেলে ওই গ্রামের রূপচান বেপারীর মেয়ে ঝুমা (৬), বাদশা মিয়া সিকদারের মেয়ে লাভলী (৬) ও ছেলে ইয়ামিন (৫) নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যায় নতুন বালারবাজার ঘাটের অদূরে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। গ্রামের লোকজন মরদেহগুলো উদ্ধার করে তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। শিশু তিনটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। | 62,384 |
প্রতিনিধি, শরীয়তপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০৪ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০৬ | বন্দুকযুদ্ধ,অপরাধ | 0 | শরীয়তপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১১ মামলার আসামি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1556121 | শরীয়তপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুমন পাহাড় (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য, নিহত যুবক মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও গ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাটি ঘটে। শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।পুলিশের ভাষ্য, নিহত সুমন পাহাড়ের বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বালুচরা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম স্কেন পাহাড়। সুমনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি মামলা রয়েছে।শরীয়তপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তাঁরা খবর পান—মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি করতে মাদক ব্যবসায়ীরা ছয়গাঁও গ্রামে এক জায়গায় জড়ো হচ্ছে। তখন সদর থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে যৌথ অভিযান চালায়। মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বোমা ছোড়ে। পুলিশ এ সময় পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুমনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। পুলিশে দাবি, তারা ঘটনাস্থল থেকে এক কেজি গাঁজা, ছয়টি ককটেল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।এ ঘটনায় নিহত সুমনের পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। | 375,691 |
প্রথম আলো ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২৩:৫২ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২৩:৫৩ | যুক্তরাজ্য | 0 | পুলিশের বিরুদ্ধে মামলায় জিতলেন লন্ডনের যৌনকর্মীরা | http://www.prothom-alo.com/international/article/153451 | যৌন ব্যবসায় ববহূত ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ করে রাখার পুলিশি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করে জিতে গেছেন লন্ডনের কয়েকজন যৌনকর্মী। গতকাল শুক্রবার লন্ডনের একটি আদালত পুলিশের বন্ধ করে দেওয়া তাঁদের ফ্ল্যাটগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার খবরে বলা হয়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর লন্ডনের সোহো এলাকায় যৌনকর্মীদের ফ্ল্যাটে প্রায় দুইশ পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় অনেক যৌনকর্মীকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে রাখা হয়। পুলিশের অভিযোগ ছিল, ওইসব ফ্ল্যাটে অনেক নারীকে তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এনে যৌন ব্যবসায় লাগিয়ে দেওয়া হতো।তবে পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কয়েকজন যৌনকর্মী সম্প্রতি আদালতে মামলা করেন। গতকাল শুক্রবার বিচারক রায় দেওয়ার সময় বলেন, পুলিশ ওই ফ্ল্যাটগুলোতে নারীদের জোর করে যৌনকাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ এনেছে তার পক্ষে জোরালো কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। ফলে ফ্ল্যাটগুলো খুলে দিয়ে স্ব স্ব মালিকের কাছে তা বুঝিয়ে দিতে আদেশ দেন আদালত।এর মধ্য দিয়ে যৌনকর্মীরা আবার এই সব ফ্ল্যাটে তাঁদের যৌন ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। | 53,159 |
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ জুলাই ২০১৫, ০১:৪৩ | ১৩ জুলাই ২০১৫, ০১:৪৪ | চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ | 0 | খাগড়াছড়িতে তিন পুলিশ কারাগারে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/576796 | চাঁদাবাজির অভিযোগে খাগড়াছড়িতে পুলিশের তিন কনস্টেবলকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে এক নারী পুলিশের ওই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল ফিরোজুল ইসলাম ও মো. মনিরুজ্জামান এবং গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কনস্টেবল হাফিজুর রহমান।মামলার বাদী মাংপ্রু মারমা বলেন, ‘গত বুধবার রাতে সাদা পোশাকধারী তিন পুলিশ খাগড়াছড়ি সদরের মধ্য গঞ্জপাড়ায় আমার বাসায় আসেন। তাঁরা এসে আমার স্বামীকে ডাকতে থাকেন। দরজা খুলে না দেওয়ায় তাঁরা আমাদের গালাগাল করেন। একপর্যায়ে দরজা খুলে দিলে তাঁরা ঘরে ঢুকে হাতকড়া পরিয়ে আমার স্বামীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। আমরা মাদক ব্যবসা করি—এ অভিযোগ তুলে পুলিশ সদস্যরা আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে অনেক দেন-দরবারের পর ২৫ হাজার টাকা দিলে তাঁরা চলে যান। এর এক দিন পর তাঁরা আবারও বাড়িতে এসে নানা হুমকি দিতে থাকেন। তখন তাঁদের আরও দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়।’ এরপর তিনি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।পুলিশ সূত্র জানায়, বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানান সাংবাদিকেরা। এরপর পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। শনিবার দিবাগত রাত তিনটায় ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।খাগড়াছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর জাহান বেগম জানান, পুলিশের ওই তিন সদস্যকে গতকাল রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ সুপার মজিদ আলী জানান, প্রাথমিক তদন্তে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা মেলায় পুলিশের ওই তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। | 152,526 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১২:২৭ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১২:২৯ | কম্পিউটার | 0 | নিলামে উঠছে অ্যাপল-১ কম্পিউটার | http://www.prothom-alo.com/technology/article/624883 | অ্যাপলের দুই প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ও স্টিভ ওজনিয়াকের হাতে তৈরি প্রথম অ্যাপল কম্পিউটারের একটি নিলামে উঠছে। ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহ্যামস এই কম্পিউটারটির নিলাম ডাকবে। তারা আশা করছে, অ্যাপল-১ পিসির দাম উঠতে পারে তিন লাখ ৩০ হাজার পাউন্ডে।চার দশক আগে একটি বাড়ির গ্যারেজে স্টিভ জবস ও ওজনিয়াক মিলে অ্যাপল গড়ে তোলেন। সেখানে তাঁরা অ্যাপল-১ পিসি তৈরি করেন। তাঁদের তৈরি প্রথম ব্যাচের এই পিসি মূলত একটি মাদারবোর্ড। ৪৩৭ পাউন্ড দামে বাইট শপ এই পিসিগুলো কিনে তা বিক্রি করে। এই পিসি কিনলে তার সঙ্গে কেসিং, মনিটর ও কিবোর্ড আলাদা করে যুক্ত করতে হবে।অ্যাপলের তৈরি প্রথম ব্যাচের এই অ্যাপল-১ পিসিটি টম রমকি নামের এক ব্যক্তির মালিকানায় ছিল। গত বছর এই ব্যাচের আরেকটি পিসির দাম পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৪ পাউন্ড উঠলে রমকি তাঁর পিসিটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।অ্যাপল-১ বিশেষজ্ঞ কোরি কোহেন বলেন, পিসিটি ভালো অবস্থায় আছে। প্রায় চার দশকের পুরোনো এটি। আমার দেখা অ্যাপল-১ পিসিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে।বোনহ্যামসের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক পরিচালক ও নিলামকারী ক্যাসান্ড্রা হ্যাটন বলেন, পিসিটি বাইট শপের ফরমায়েশ দেওয়া ৫০টি পিসির মধ্যে একটি। নিরাপত্তা পেন নিয়ে এতে উদ্ভাবনী নম্বর লেখা আছে।অ্যাপল-১ তালিকা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ৬৬টি অ্যাপল-১ পিসি টিকে আছে। (সূত্র: পিটিআই) | 166,575 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২২ মে ২০১৬, ০২:১২ | ২২ মে ২০১৬, ০২:২০ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | সেরা ফুটবল কোচ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/865990 | পেপ গার্দিওলা কি ‘বিদায়ী উপহার’ পেলেন শেষ পর্যন্ত? উত্তরটি এতক্ষণে জেনে গেছেন সবাই। বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে তিন মৌসুমে ছয়টি শিরোপা জিতেছেন। কাল জার্মান কাপ ফাইনালে ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে থাকলে সপ্তম ট্রফির ছোঁয়াও পেয়ে গেছেন গার্দিওলা। সে ক্ষেত্রে ৯ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে নিজের ২১তম শিরোপাও পেলেন এই স্প্যানিশ কোচ। এ পর্যায়ের ফুটবলে এত কম সময়ে এত বেশি ট্রফি কেউ জেতেননি। এর আগে কিংবদন্তি বব পেইসলি লিভারপুলের দায়িত্বে ৯ মৌসুমে জিতেছিলেন ২০টি শিরোপা। তবে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়তে হলে গার্দিওলাকে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৪৯টি শিরোপা জিতে চূড়ায় বসে আছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন।ইউরোপে সবচেয়ে সফল ম্যানেজার৪৯অ্যালেক্স ফার্গুসনস্কটল্যান্ড১৯৭৪-২০১৩৩১মির্চা লুকেসুরোমানিয়া১৯৭৯-২০১৬২৯ভ্যালেরি লোবানফস্কিইউক্রেন১৯৬৯-২০০১২৭জক স্টেইনস্কটল্যান্ড১৯৬০-১৯৮৫২৫ওটমার হিজফেল্ডজার্মানি১৯৮৩-২০১৪ | 225,292 |
-1 | sports | খেলা | ৩১ আগস্ট ২০১৩, ০২:১৩ | ৩১ আগস্ট ২০১৩, ০২:১৪ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | ক্যাসিয়াসকে রেখেছেন বস্ক | http://www.prothom-alo.com/sports/article/43365 | ইকার ক্যাসিয়াস যখন রিয়াল মাদ্রিদে ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন, তখন তাঁকে একটু হলেও আশার আলো দেখালেন ভিসেন্তে দেল বস্ক। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য স্পেন দলে ক্যাসিয়াসকে ডেকেছেন দেল বস্ক।রিয়াল মাদ্রিদে কার্লো আনচেলত্তির প্রথম পছন্দ এখন ডিয়েগো লোপেজ। কিন্তু স্পেনে লোপেজ এবারও উপেক্ষিত থেকে গেলেন। গোলপোস্টের নিচে ক্যাসিয়াসের সঙ্গে আছেন পুরোনো দুই পছন্দ ভিক্টর ভালদেস ও পেপে রেইনা। তবে একটা চমকও দিয়েছেন দেল বস্ক, ডাকেননি চেলসির হুয়ান মাতা, ফার্নান্দো তোরেস ও সেজার আজপিলিকুয়েতাকে।৬ সেপ্টেম্বর ফিনল্যান্ড নিজেদের মাঠে পরীক্ষা নেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। দেল বস্কের ভাবনাজুড়ে এখন সেই ম্যাচ, ‘এই মুহূর্তে ফিনল্যান্ডের ম্যাচ নিয়েই আমি উদ্বিগ্ন।’ এরপর জর্জিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে স্পেন বাকি দুটি ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠে। তার আগে অবশ্য ১০ সেপ্টেম্বর চিলির বিপক্ষে একটা প্রীতি ম্যাচও আছে। গ্রুপ আইতে ১১ পয়েন্ট নিয়ে স্পেন সবার ওপরে আছে বটে, কিন্তু ১০ পয়েন্ট নিয়ে ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে ফ্রান্স।জার্মানিতে ডাক পেয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ ত্রয়ী বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগার, মারিও গোটশে ও টনি ক্রুস। চোটের কারণে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটিতে ছিলেন না তাঁরা। গ্রুপ সিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে জার্মানি। ৬ সেপ্টেম্বর মিউনিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রিয়া (১১) খেলবে জার্মানির সঙ্গে। চার দিন পরের ম্যাচটির প্রতিপক্ষ তলানিতে থাকা ফারো আইল্যান্ডস। এএফপি। | 13,236 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৮ | ০৩ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৮ | এশিয়া | 0 | অর্থনৈতিক উদ্বেগই হংকং বিক্ষোভের মূল কারণ | http://www.prothom-alo.com/international/article/336316 | হংকংয়ে অধিকতর গণতান্ত্রিকভাবে প্রশাসক নির্বাচিত করার অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের শক্তি প্রয়োগ ও চীন সরকারের হুমকি এতে অংশগ্রহণকারীদের আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তাদের দাবিগুলো মৌলিক অধিকারবিষয়ক বলেই সহজে তারা মাঠ ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে না।মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক অধিকারকর্মীদের আয়োজনে চলমান এ বিক্ষোভে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। ছত্রভঙ্গ করতে ছুড়েছে মরিচের গুঁড়াও। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু হওয়ার বেশ কয়েক দিন পরও হাজারো আন্দোলনকারী পথে রয়ে গেছে। বরং নুতন নতুন জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলেকজান্ডার চ্যান বলেন, ‘আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। কিন্তু ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এটা খুবই বাড়াবাড়ি। তাই আমি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি।’বিশ্লেষকেরা কেউ কেউ মনে করছেন, হংকংয়ের এ বিক্ষোভ আরও কয়েক দিন চলতে পারে। চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের চীনবিষয়ক বিশ্লেষক ও-লাপ লামও বলেন, পুলিশের ভূমিকায় সাধারণ মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ। তারা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করায় আরও বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। এই সহিংস পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে।লামের মতে, বেইজিং নমনীয় হবে এবং তাদের দাবি মেনে নেবে—বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এ আশা খুব ক্ষীণ। তাই ব্রিটিশ শাসনাধীনে অর্জিত আইনের শাসন, বাক্স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষ বেসামরিক প্রশাসনের মতো মৌলিক মূল্যবোধগুলো রক্ষায় তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।যুক্তরাজ্যের শাসন থেকে ১৯৯৭ সালে হংকং দ্বীপ আবার কমিউনিস্ট চীনের শাসনে ফিরে আসে। একদলীয় শাসনের দেশ চীন এ সময় সেখানে, বিশেষ করে ব্রিটিশ শাসকদের চালু করা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিধিব্যবস্থা এবং মূল্যবোধ রক্ষার অঙ্গীকার করেছিল।‘ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস’-এর মহাসচিব আলেক্স চাও ইয়ং-কাং বলেন, ‘এ বিক্ষোভের সম্ভাব্য মূল প্রভাব হলো হংকংয়ের সাধারণ মানুষ আরও সচেতন হবে এবং আরও বেশি সংখ্যায় রাস্তায় নেমে আসবে। এতে সরকারের ওপর চাপ বাড়বে।’বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, অর্থনৈতিক বিষয়ে হংকংয়ের যুবকদের উদ্বেগই এই বিক্ষোভের মূল কারণ। চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের বিশ্লেষক ও-লাপ লাম মনে করেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাই ছাত্রদের পথে নামিয়েছে। চাকরিজীবীরা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। হংকং কনফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নও শ্রমিকদের দুরবস্থার অবসানে বিক্ষোেভ যোগ দিয়েছে।১৯৯৭ সালে হংকং চীনের শাসনে ফিরে আসার পর দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১০ লাখ লোক অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পাড়ি জমায়। এ কারণেও স্থানীয় লোকজন বেইজিংয়ের ওপর ক্ষুব্ধ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হংকংয়ে গুরুতর আবাসনসংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে এ পরিস্থিতি। | 98,540 |
-1 | opinion | মতামত | ১৬ জুলাই ২০১৫, ০০:৩৫ | ১৬ জুলাই ২০১৫, ০০:৩৬ | চিঠিপত্র,মতামত | null | ভেজাল ওষুধ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/578863 | বাংলাদেশের ওষুধশিল্প মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে বিশ্বে স্থান করে নিয়েছে, এটা গৌরবের কথা। কিন্তু সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ আমাদের সত্যিই হতাশ করেছে। সংবাদটি হলো সারা দেশে চলছে ভেজাল ওষুধের রমরমা ব্যবসা। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে।ওষুধ মানুষের সুস্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষার জন্য অন্যতম উপাদান। বর্তমানে দেশে ওষুধ কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ২৭০টি। মানসম্পন্ন এবং সঠিক পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরি করে—এমন কোম্পানির সংখ্যা মাত্র ৪০টি। বেশির ভাগ কোম্পানি স্বাধীনভাবে বাধাহীন ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করে যাচ্ছে। এ যেন মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, যা চরম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এই অবৈধ ব্যবসার আড়ালে দেশের চিকিৎসকদের একাংশ কমিশন পাওয়ার লোভে ভেজাল ওষুধ রোগীদের সেবনের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। এটা অমানবিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তা ছাড়া কিছু ওষুধ শিল্পের মালিক এবং সংঘবদ্ধ একটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী মানুষের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভেজাল ওষুধের ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভেজাল ওষুধের এই ব্যবসা দিন দিন বেড়েই চলছে। এতে কত মানুষের জীবন যাচ্ছে বা কত মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে—সে খবর কে-ই বা জানে।বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), ওষুধ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যৌথভাবে অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারেকঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এটাই জনগণের আশা।মাহতাব আলী, ঢাকা। | 153,380 |
রাজধানী প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ অক্টোবর ২০১৬, ০১:২০ | ১০ অক্টোবর ২০১৬, ০১:২২ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ফার্মেসিতে মাদক বিক্রি হচ্ছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/997443 | ‘স্বামীর মাদক সেবনের কারণে আমার সাজানো সংসার ধ্বংস হয়ে গেছে৷ তাঁকে মাদক সেবন করতে বাধা দিলে পরিবারে সবাইকে মারধর করত। তাঁর সঙ্গে মহল্লার তরুণদের একটি অংশও রয়েছে৷ খিলগাঁওয়ের বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হয়৷ কিন্তু ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।’গতকাল রোববার খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ানে শেখ রাসেল ঈদগাহে ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা নাছিমা আখতার৷ তাঁর বক্তব্য শুনে এই এলাকার সব ফার্মেসিতে অভিযান চালাতে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন৷ তিনি বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত এলাকা হিসেবে দেখতে চাই। এ জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এ সময় পুলিশের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে সব সময় চেষ্টা করছে পুলিশ৷ শিগগিরই এই এলাকা সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত করা হবে৷ এ জন্য মহল্লার প্রত্যেকে একেকজন পুলিশের ভূমিকা পালন করতে হবে।ডিএসসিসির ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন৷ খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ান, উত্তর গোড়ান, পূর্ব গোড়ান, নবাবি মোড়, দক্ষিণ বনশ্রী, হাওয়াই গলি, সিদ্দিক বাজার, শান্তিপুর, আদর্শবাগ, ৮ ও ১০ নম্বর রোড নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা, খুঁটির অভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকা, পানির পাম্প না থাকা, নতুন সড়ক নির্মাণ, পুরান সড়ক সংস্কার, গ্যাসের লাইনে সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা।গোড়ান ১০ নম্বর রোডের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোস্তফা মেয়রকে বলেন, গোড়ান ১০ নম্বর রোডের ড্রেনের অবস্থা খুব খারাপ। সারা বছর ড্রেনের পানি উপচে সড়কে পড়ে। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে হাঁটুপানি জমে। জবাবে মেয়র বলেন, এই এলাকার উন্নয়নে প্রায় ১০ কোটি টাকার কাজ করা হবে। এর মধ্যে কিছু কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে৷ বাকি কাজও অতি দ্রুত শুরু করা হবে। এলাকার ছোট-বড় সব সড়কই সংস্কার করা হবে। কোনো সড়ক ভাঙা অবস্থায় থাকবে না। | 254,912 |
-1 | sports | খেলা | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৩ | ২৯ মে ২০১৯, ১২:১০ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | রেকর্ড কর্নার | http://www.prothom-alo.com/sports/article/449767 | বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৪ বার ৩০০ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু চারবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ দল একবারও ৩০০ রান করতে পারেনি। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলা ১৯ দলের মধ্যে শুধু অস্ট্রেলীয় বোলাররাই প্রতিপক্ষকে ৩০০ করতে দেননি। তালিকার উল্টো মেরুতে শ্রীলঙ্কা ও হল্যান্ড। এই দুই দলের বিপক্ষে আটবার করে তিন শ রান হয়েছে। অবশ্য শ্রীলঙ্কা খেলেছে ৬৬ ম্যাচ, হল্যান্ড মাত্র ২০টি। এই দুই দলের পরেই কেনিয়ার নাম। সাতবার ৩০০ বিলিয়েছে ওয়ানডে মর্যাদা হারিয়ে ফেলা দলটি। ২৬ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ তিন শ করেছে দুবার। | 114,816 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ আগস্ট ২০১৪, ০১:৪৪ | ০৯ আগস্ট ২০১৪, ০১:৪৫ | রাজধানী (জাতীয়),মহানগর,অপরাধ | 0 | ৩০ লাখ টাকার মুদ্রাসহ গ্রেপ্তার ৭ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/286336 | এক লাখ টাকার একেকটি বান্ডিলে এক হাজার টাকার দু-তিনটি জাল নোট ঢুকিয়ে দিতেন সোনালী ব্যাংক মতিঝিলের একটি শাখার ক্যাশিয়ার ও জাল নোট চক্রের সদস্য শম্ভুনাথ সরকার। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে ওই সব ব্যাংকে জাল নোট ছড়িয়ে দিতেন।গত বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোনালী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মী শম্ভুনাথ (৪৮) ও জাল নোট তৈরি চক্রের দলনেতা শাহ আলমসহ (২৬) সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট ও ১০ লাখ টাকার ভারতীয় মুদ্রা এবং জাল নোট তৈরির উপকরণ ও যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকন (৩২), মো. আমিনুল ইসলাম (৩৫), শাহীন সিকদার (৪০), মো. হাবিব (২৫) ও মো. কাওসার আহম্মেদ (৩৮)। তাঁদের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহা সামনে রেখে জাল নোট কারবারিরা বাজারে জাল নোট ছড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ খবর আসে ডিবি পুলিশের কাছে। এর ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে কামরাঙ্গীরচরের লোহারপুলে জাল নোট বেচাকেনা করার সময় ডিবি পুলিশ জহিরুল ও আমিনুলকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে ২৩ হাজার জাল নোট আটক করা হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে কামরাঙ্গীরচরের চিনা গলির ৩ নম্বর রোডের জাল নোট চক্রের দলনেতা শাহ আলমের বাসা থেকে ২০ লাখ টাকার জাল নোট ও ১০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ওই বাসা থেকে জাল টাকা তৈরির কাগজ, ফ্রেম, নিরাপত্তা সুতা, টাকা ছাপানোর ১০টি ফ্রেম, রং, কেমিক্যাল, দুটি ল্যাপটপ, দুটি প্রিন্টার, কালির ৫০০ কাট্রি৴জ ও ছয়টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল নোট তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তাঁরা ডলার, ইউরোসহ বিভিন্ন দেশের টাকা তৈরি করে তা চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারা দেশে বাজারজাত করে আসছেন। জাল মুদ্রা তৈরির এই চক্র তিন স্তরে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম চক্রের সদস্যরা জাল নোট তৈরির কাগজ সরবরাহ করেন। তাঁরা টাকার যাবতীয় নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসংবলিত কাগজ তৈরি করে চক্রের প্রধান শাহ আলমের চাহিদা অনুযায়ী তাঁর কাছে সরবরাহ করতেন। পরে শাহ আলম, কাওসার ও জহিরুল কম্পিউটার ও প্রিন্টারের মাধ্যমে টাকা ছাপিয়ে সরবরাহকারী গ্রুপের মাধ্যমে সারা দেশে তা বাজারজাত করতেন। সরবরাহকারী চক্রে আছেন আমিনুল, শম্ভুনাথ সরকার ও শাহীন।যুগ্ম কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুল জাল নোটের পাশাপাশি রাজশাহীর সীমান্তে নিযুক্ত তাঁর এজেন্টদের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা ভারতের বিভিন্ন লোকের কাছে সরবরাহ করতেন। শম্ভুনাথ সরকার সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলের একটি শাখার কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ব্যাংকের ক্যাশ বিভাগে কাজ করার সুবাদে তিনি জাল নোট প্রকৃত নোটের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যাংকের ক্যাশে জমা করতেন।সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিবির উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম, ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান। | 83,606 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০১ | ২১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০১ | আনন্দ | 0 | মেরিল–প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার ২০১৫ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/835543 | অপেক্ষার পালা শেষ। এবার মেরিল–প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন কোন শিল্পীরা এখন তা–ই জানার পালা। ঝটপট জেনে নিন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিল্পীদের অনুভূতি... শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রঅনিল বাগচীর একদিনআবুল খায়ের, চেয়ারম্যান, বেঙ্গল ক্রিয়েশনস লি.বেঙ্গল শিল্প পরিবার সংস্কৃতির নানা শাখার মতো চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে চলচ্চিত্র নির্মাণে এগিয়ে এসেছে। বেঙ্গল সিনেমার দ্বিতীয় উদ্যোগ প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের কাহিনি অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত অনিল বাগচীর একদিন মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের মনোনয়ন পাওয়ায় বেঙ্গল শিল্প পরিবারসহ আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সামনে বেঙ্গল সিনেমার পক্ষ থেকে শিল্পমানসম্পন্ন ও সুস্থ বিনোদন মানসম্পন্ন আরও নতুন নতুন চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।ছুঁয়ে দিলে মনসারা যাকের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ধ্বনিচিত্রছুঁয়ে দিলে মন আমাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম চলচ্চিত্র। ছবিটিতে আমরা একদিকে যেমন শিল্পের দিকটিকে গুরুত্ব দিয়েছি, তেমনি বাণিজ্যিক ব্যাপারটিও মাথায় ছিল। পাশাপাশি আমরা দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে আনতে চেয়েছি। এই তিনটি দিকেই আমরা সফল হয়েছি। ছুঁয়ে দিলে মন ২০১৫ সালের অন্যতম ব্যবসাসফল একটি ছবি। এই সাফল্য আমাদের আরও নতুন নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যাপারে উৎসাহিত করছে।শিহাব শাহীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মনফড়িংপ্রথম ছবিতেই সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছি, এটাই আমার জন্য দারুণ আনন্দের। এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।জিরো ডিগ্রিমাহফুজ আহমেদআমি কিন্তু এই ছবির অন্যতম প্রযোজক। আমার সঙ্গে আরও আছেন আনসারুল আলম ও অনিমেষ আইচ। আমরা একান্ত আমাদের মতো করে একটি ছবি বানাতে চেয়েছিলাম। এর নির্মাণ, আয়োজন কিংবা প্রচারে কোনো কমতি রাখিনি। ছবিটা দর্শক পছন্দ করেছেন এবং সমালোচকেরাও পছন্দ করেছেন—দুই দিকেই আমরা সফল হয়েছি।শ্রেষ্ঠ পরিচালকঅনিমেষ আইচ (জিরো ডিগ্রি)জিরো ডিগ্রি আমার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র। আমি তো ছোট পর্দায় অনেক দিন কাজ করছি। ছোট পর্দার সঙ্গে বড় পর্দার অনেক পার্থক্য আছে। আমি দর্শকদের এমন একটা ছবি উপহার দিতে চেয়েছি, যা দেখে দর্শক আনন্দ পাবেন। মুক্তির পর আমি অনেক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখেছি। সেখানে পর্দায় বিভিন্ন দৃশ্য দেখে দর্শকেরা যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, হাততালি দিয়েছেন, তা দেখে আমি মুগ্ধ। এবার মনোনয়ন পেয়ে এই মুগ্ধতা আরও বেড়ে গেল।মোরশেদুল ইসলাম (অনিল বাগচীর একদিন)এই পুরস্কার নিয়ে আমার মনে কিছু কষ্ট আছে। আমি এর আগে আরও কয়েকবার মনোনয়ন পেয়েছি। কিন্তু পুরস্কার পাইনি। আমি আসলে মনোনয়নের মাঝেই সীমাবদ্ধ আছি।শিহাব শাহীন (ছুঁয়ে দিলে মন)সৃষ্টির স্বীকৃতির আনন্দ যে কী, তা বেশ বুঝতে পারছি। গত বছর অনেক নতুন পরিচালকের ছবি এসেছে। তার মধ্য থেকে আমি মনোনয়ন পেয়েছি, আমি আপ্লুত। আশা করছি, আমার পরের কাজগুলোতে এই স্বীকৃতির প্রভাব পড়বে।শ্রেষ্ঠ অভিনেতাআরিফিন শুভ (ছুঁয়ে দিলে মন)সমালোচক পুরস্কার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকেন দেশের গুণী কিছু মানুষ। তাঁরা চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমাকে মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করেছেন, ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে অনেক আনন্দের ও সম্মানের। গত বছর কিন্তু প্রথম সমালোচকদের রায়ে ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’ নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমি মনে করি, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার আমাদের দেশে যেকোনো অভিনয়শিল্পীর কাজের প্রতি দায়িত্ব অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।আরেফ সৈয়দ (অনিল বাগচীর একদিন)বলেন কী! আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না! ২০ এপ্রিল দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল, এখন দেখছি যাওয়াটা পেছাতে হবে। মনোনয়ন পেয়েছি, এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া। আর কী লাগে?মাহফুজ আহমেদ (জিরো ডিগ্রি)আমি টিভি নাটকের জন্য এর আগে পাঠকের ভোটে জনপ্রিয় বিভাগে কয়েকবার পুরস্কার পেয়েছি। এবার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সমালোচকেরা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমাদের এখানে বছরে করার মতো দু-একটির বেশি ছবি হয় না। এদিকে ছোট পর্দায়ও তেমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্র পাইনি। তাই অভিনেতা মাহফুজ আহমেদকে লালন করার জন্য নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিই। এবার সমালোচকেরা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমার আর কী চাওয়ার আছে? চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করার পেছনে এই মনোনয়ন আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীঅপর্ণা ঘোষ (সুতপার ঠিকানা)এবারই প্রথম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার আয়োজনে মনোনয়ন পেয়েছি। তাও আবার বড় পর্দার কাজের জন্য। খুবই খুশি হয়েছি। যখন কাজটি করেছিলাম, তখনই মনে হয়েছিল, কাজটি দর্শক ও সমালোচকেরা পছন্দ করবেন। এবার সমালোচকদের কাছ থেকে আমার কাজের সেই স্বীকৃতি পেয়েছি। এই বিভাগে আমার সঙ্গে যে দুজন মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁরা বড় মাপের অভিনেত্রী। আমি তাঁদের কাজের ভক্ত। তাঁদের পাশে আমার নাম দেখে নিজেকে খুব সম্মানিত মনে হচ্ছে।জয়া আহসান (জিরো ডিগ্রি)যখনই মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছি, ভালো লেগেছে। পরিচালক অনিমেষ আইচ ছবিটি অনেক যত্ন করে তৈরি করেছেন। আমরা যারা অভিনয় করেছি, তারাও ভালো কিছু করার চেষ্টা করেছি। সমালোচকেরা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, অভিনয়শিল্পী হিসেবে তা অনেক আনন্দের। সমালোচক বিভাগে যাঁরা জুরি ছিলেন, তাঁদের কাছে আমার অভিনয় ভালো লেগেছে, এটাও কিন্তু অনেক সম্মানের।মম (ছুঁয়ে দিলে মন)সমালোচকদের কাছ থেকে মনোনয়ন আমার জন্য বিশেষ পাওয়া। আমি মনে করি, যাঁরা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাঁরা সবাই চলচ্চিত্রের বিজ্ঞ বিচারক। তাঁদের কাছ থেকে এ প্রাপ্তি আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জোগাবে। অভিনয়ের সময় নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করি। বিচারকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আরও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ছবির পরিচালক, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর কলাকুশলীদের। তাঁদের কারণেই ভালো একটি ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়েছি এবং ভালোভাবে কাজটি করতে পেরেছি। সেরা টিভি নাটক নির্দেশকঅনিমেষ আইচ (অনুগমন)মনোনয়ন পাওয়া তো অবশ্যই আনন্দের। আমি এখানে কৃতিত্ব দেব গল্পটির লেখক মশিউল আলমকে। তাঁর গল্পটা অসম্ভব সুন্দর। এই সুন্দর গল্পটা আমাকে একটা ভালো কাজ করার ব্যাপারে উৎসাহ জুগিয়েছে। আর নাটকে অভিনয়শিল্পী রওনক হাসান ও ভাবনা খুবই কষ্ট করেছেন। তাঁরা নিজেদের চরিত্রকে বাস্তবসম্মত করে তুলতে খুব চেষ্টা করেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।আশরাফুল চনচল (অনিন্দিতা)অনেক ভালো লাগছে। নাটক নির্মাণ করা খুবই কঠিন। বাজেটসহ সবকিছুতে নানা প্রতিবন্ধকতা। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার থাকার কারণে একটা উত্সাহ পাওয়া যায়। ভালো কাজের স্বীকৃতির একটা জায়গা আছে। আমার জন্য সত্যি তা খুব আনন্দের সংবাদ। পুরস্কার পেলে আরও ভালো লাগবে।রেদওয়ান রনি (জেগে ওঠার গল্প)নাটকটি নির্মাণ করার সময়ই অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করেছে। এটা একটি সচেতনতামূলক কাজ। আর এমন কাজের স্বীকৃতি পাওয়া তো আরও আনন্দের।সেরা টিভি চিত্রনাট্যকারঅনিমেষ আইচ (অনুগমন)মশিউল আলমের গল্পটা যেমন ছিল, তাঁর সঙ্গে আমি নিজের কল্পনাকে যুক্ত করেছি। গল্পটা অনেক আগে পড়েছি। তা প্রায় বছর তিনেক আগে তো হবেই। তখন থেকেই এর নাট্যরূপটা ভেবেছি। ভেবেছি অন্য রকম কিছু লিখতে।আশরাফুল চনচল (অনিন্দিতা)অনিন্দিতা নাটকটি কাব্যনাট্য আকারে লেখা। টেলিভিশনে এ ধরনের কাজ খুব কম হয়। নাটকে ২০ জন কবির কবিতা ব্যবহার করা হয়েছে। আমি দর্শকদের ভিন্ন স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন মনে হচ্ছে এটা দর্শকসহ বিচারকেরা পছন্দ করেছেন। তাই মনোনয়ন পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।রেদওয়ান রনি (জেগে ওঠার গল্প)পুরস্কার পাব কি না জানি না। তবে বিচারকেরা আমার কাজ কষ্ট করে দেখেছেন ও আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, এটাই আমার জন্য অনেক কিছু। আমি দারুণ খুশি। সেরা টিভি অভিনেতাইরেশ যাকের (ফিরে এল রূপবান)২০১৫ সালে নানা কারণে খুব কম কাজ করেছি। কিন্তু আমি জানি নাটক নির্মাণ হয়েছে প্রচুর। এর মধ্য থেকে বিচারকেরা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, এটা সত্যিই খুব আনন্দের। আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।খন্দকার লেনিন (জেগে ওঠার গল্প)এটা আমার জন্য একটি খুব ভালো খবর। আমার কাজের সংখ্যাও বেশি না। আমি খুবই রোমাঞ্চিত। সন্মানিত বিচারকেরা আমাকে পছন্দ করেছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।রওনক হাসান (অনুগমন)অনুগমন নাটকের কাজ শেষ করার পর মনে হয়েছিল, নাটকটি দর্শক পছন্দ করবেন। আমার ধারণা ভুল হয়নি। নাটকটি প্রচারের পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। শুনেছি নাটকটি দেখতে বসে নাকি অনেকেরই চোখ ভিজে গিয়েছিল। এবার মনোনয়ন পাওয়ার পর আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। এখন বলছি, এই নাটকের জন্য যদি আমি পুরস্কার পাই, তাহলে এতটুকু অবাক হব না।সেরা টিভি অভিনেত্রীঅপি করিম (এ শহর মাধবীলতার না)দর্শকের পাশাপাশি সমালোচক, এই দুই দলকে সন্তুষ্ট করার মতো একটি কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য পরিচালক সাগর জাহানকে ধন্যবাদ। সমালোচকেরা কষ্ট করে আমার নাটক দেখেছেন, তাঁদের কাছে ভালো লেগেছে, এটাই অনেক বড় সম্মাননা।তিশা (শেফালি)সমালোচক বিভাগে যাঁরা জুরি থাকেন, তাঁরা সবাই গুণীজন। তাঁদের কাছে আমার অভিনয় ভালো লেগেছে জেনেই বেশি ভালো লাগছে। শেফালি নাটকের জন্য পরিচালক সুমন আনোয়ার থেকে শুরু করে ইউনিটের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। নাটকটির পুরো কাজ আমরা করেছি কালিয়াকৈরে। এখন মনে হচ্ছে, আমরা সবাই যে পরিশ্রম করেছি, তা বিফলে যায়নি। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের সমালোচক বিভাগে সেরা অভিনয়শিল্পী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারটিতে তা-ই মনে হচ্ছে। নাদিয়া (অনিন্দিতা)আমি তো অনেক বছর অভিনয় করছি, তবে এবারই প্রথম মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছি। আমি রোমাঞ্চিত। পুরস্কার না পেলেও কোনো দুঃখ নেই। মঞ্চে চূড়ান্ত পুরস্কার ঘোষণার আগে মনোনয়নের তালিকায় আমার নাম দেখানো হবে, এটাই আমার জন্য বড় পুরস্কার। তাতেই আমি খুশি। যে নাটকের জন্য আমি সমালোচকদের দৃষ্টিতে সেরা অভিনয়শিল্পীর মনোনয়ন পেলাম, তার জন্য এর নির্মাতার প্রতিও রইল কৃতজ্ঞতা।সেরা গায়কইমরান (ফিরে আসো না)বলতে বলতে চলতে চলতে অ্যালবামের গান এটি। ভেবেছিলাম এই গানটির জন্যই মনোনয়ন পাব। কিন্তু মনোনয়ন পেয়েছি আরেকটি গানের জন্য। গানটির কথা খুব সুন্দর। শ্রোতারা আমার গান পছন্দ করেছেন, আমাকে ভোট দিয়েছেন, আমি তাঁদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ।জেমস (এত কষ্ট কষ্ট লাগে)নিঃসন্দেহে ভালো লাগছে। ওয়ার্নিং ছবির জন্য গানটি গেয়েছিলাম। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানটি। ভক্ত-শ্রোতারা মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপ পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। বাকিটাও তাঁদের ওপরই নির্ভর করছে।তাহসান (ছুঁয়ে দিলে মন)ছুঁয়ে দিলে মন ছবির ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ গানটি ছিল ছবির শিরোনাম সংগীত। আমি তো বলব, এটি ছিল আমার যুদ্ধ। বছর দু-এক আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, আমি প্লেব্যাক করব। এরপর দেখি ফেসবুকে প্রায় সবাই আমাকে নিরুৎসাহিত করছেন। অনেক নেতিবাচক মন্তব্যও পেয়েছি। এমনও বলেছেন, সিনেমার গান করলে আমি নাকি পচে যাব। এরপর আমার মনেও জেদ চেপে বসে, প্লেব্যাক করবই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, যদি ভালো গান করি, দর্শক-শ্রোতারা অবশ্যই তা গ্রহণ করবেন। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, সবাই আমার গান পছন্দ করেছেন। সব ধরনের মানুষ শুনেছে। এই গানের জন্য পাঠকদের ভোটে মনোনয়ন পেয়েছি। এই যুদ্ধে আমি জিতে গেছি। হাবিব ওয়াহিদ (হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা)ভালো লাগছে। আমার অন্য সব গানের চেয়ে এই গানের মধ্যে অন্য আহ্বান আছে। আর এ কারণেই আমি খুশি হয়েছি। আগামী দিনে এ ধরনের গান তৈরির ব্যাপারে আরও বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। দর্শক-শ্রোতাদের জন্য গান করছি। তাঁদের ভালোবাসা সঙ্গে থাকলে নিজের মধ্যে কাজের গতি আরও বেড়ে যায়। ভালো কাজ করার আগ্রহ তৈরি হয়। সেরা গায়িকাকনকচাঁপা (পদ্মপুকুর)মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারটি বড় পুরস্কার। আমার ৩২ বছরের সংগীতজীবনে মানুষের কাছ থেকে এ ধরনের ভালোবাসার ব্যাপারটি অনেক সুন্দর অনুভূতি। আমি আবেগাপ্লুত। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের শুরুর দিকে আমি মনোনয়ন পেয়েছি রুনা লায়লা আর সাবিনা ইয়াসমীনদের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের সঙ্গে। পুরস্কারও পেয়েছি। এখনো দর্শক আমাকে ভালোবেসে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গে ভোট দিয়ে মনোনয়ন দিয়ে যাচ্ছেন, ব্যাপারটি সত্যিই সম্মানের।কনা (এক জোড়া চোখের দাবি)গত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে সেরা গায়িকা বিভাগে মনোনয়ন পাচ্ছি। এবারাও পেলাম। এটা যোগ্যতার প্রমাণও বলতে পারেন। যত দূর মনে পড়ে, এবার নিয়ে পরপর ছয়বার মনোনয়ন পেয়েছি। পুরস্কার পাওয়ার চেয়ে মনোনয়ন পাওয়াটাই এখন বেশি উপভোগ করছি। মনোনয়ন পাওয়া চারজনের মধ্যে নিজের নামটি আছে, এটাই আমার কাছে এক ধরনের পুরস্কার পাওয়া। ন্যান্সি (ডানা কাটা পরী)এর আগে পর পর সাতবার মনোনয়ন পেয়ে ছয়বার ‘মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপ পুরস্কার’ পেয়েছি। এবার যে গানটির জন্য মনোনয়ন পেয়েছি, গানটি একজন তরুণ সংগীতশিল্পীর সঙ্গে গেয়েছি। এটা তাঁর জন্যও বড় অনুপ্রেরণা। গানটি শ্রোতাদের কাছে যেমন প্রিয়, তেমনি আমার কাছেও। আমি আনন্দিত। ‘লাকি সেভেন’ পূর্ণ করার অপেক্ষায় আছি। সামিনা চৌধুরী (একটা বন্ধু চাই)আমি অনেক খুশি হয়েছি। প্রথম আলোর পাঠক আর আমার শ্রোতাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, তাঁরা আমাকে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতেও আমি আপনাদের এমনিভাবে পাশে পাব।সেরা টিভি অভিনেতাজাহিদ হাসান (লটারি)আমি এখন কাজই কম করি। এরপরও যে আমার ভক্তরা আমাকে মনে রেখেছেন, আমাকে ভোট দিয়েছেন এটা সত্যিই ভালো লাগার ব্যাপার। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।তাহসান (চিনিগুঁড়া প্রেম)চিনিগুঁড়া প্রেম নাটকটির পরিচালক কিবরিয়া ফারুকী। এটা তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ ছিল। তাঁর কাজের ধরনটা ভিন্ন। শুটিংয়ে গিয়ে দেখি, পুরো একটি দৃশ্য এক টেকে দিতে হবে। এমনটা আগে আমার করা হয়নি। চেষ্টা করলাম। দেখি তাতে অভিনয়টা খুব বাস্তবসম্মত হয়। প্রতিটি কাজ থেকেই তো শেখা যায়। এই নাটক থেকেও শিখেছি। আমার সঙ্গে ছিলেন জেনি। তাঁর সঙ্গে ১৩ বছর আগে প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্র করেছিলাম। এত বছর পর আবার আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি।মাহফুজ আহমেদ (লাইক অ্যান্ড কমেন্টস)পরিচালক মাসুদ সেজানের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। স্যাটায়ার কিংবা কমেডি চরিত্রে আমি বেশি কাজ করিনি। আসলে এ ধরনের চরিত্রে আমাকে ঠিক মানায় না। কাজটা করার সময় বারবার মনে হয়েছে, দর্শক গ্রহণ করবেন তো? মাসুদ সেজান আমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। এখন দেখছি, কাজটি দর্শক পছন্দ করেছেন। ভালো লাগছে।মোশাররফ করিম (সিকান্দার বক্স এখন নিজ গ্রামে)‘সিকান্দার বক্স’ খুবই জনপ্রিয় একটি চরিত্র। নাটকটিও দর্শক পছন্দ করেছেন। নাটকটির দর্শকপ্রিয়তা দেখে আমি বিস্মিত! আবার এই নাটকের জন্য মনোনয়ন পেয়ে আরও ভালো লাগছে। সেরা টিভি অভিনেত্রীঅপি করিম (এ শহর মাধবীলতার না)এ নাটকে গল্পটা অন্য রকম। এ নাটকের জন্য নাট্যকার ও পরিচালক আমাকে ভেবেছেন, তাঁদেরকে ধন্যবাদ। আমার কাছে মনোনয়ন মানেই পুরস্কার। সারা বছর দর্শক অনেক নাটক দেখেন। এসব নাটক থেকে ৩-৪টা নাটক আলাদা করা মানেই পুরস্কারের সমান। প্রথম আলোরপাঠকেরা কষ্ট করে আমাকে ভোট দিয়ে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন, এ জন্য আমি তাঁদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ।তিশা (তিলোত্তমা তোমার জন্য)এর আগে কয়েকবার পাঠক ভোটে ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’ পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয়, পাঠক ভোটে মনোনয়ন পাওয়াটা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। আমার কাজ দর্শক মন দিয়ে দেখেন, তারপর সেটা তাঁদের ভালো লাগে এবং কুপন কেটে তা পূরণ করে পত্রিকা অফিসে পাঠান, এটা সত্যিই ভাগ্য ছাড়া সম্ভব না। পুরস্কার পাব কি না, জানি না। আমার কাছে প্রথম আলোর পাঠক ভোটে মনোনয়ন পাওয়াটাই বড় পুরস্কার।মিথিলা (সুখের ছাড়পত্র)মনোনয়ন পেয়ে ভালো লেগেছে, পুরস্কার পেলে আরও ভালো লাগবে। আশফাক নিপুণের এই কাজটি কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে। এর আগে তাঁর ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম নাটকে কাজ করেছি। তাঁর গল্পগুলো অন্য রকম। আর ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’ বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। সেখানে আমার কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি, এটা অনেক বড় পাওয়া। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।মেহ্জাবীন (সুপারস্টার)ভালো লাগছে। জনপ্রিয় তিনজন অভিনেত্রীর সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছি। তাঁদের সঙ্গে আমার নাম আছে। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। আমি দারুণ খুশি।সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতাআরিফিন শুভ (ছুঁয়ে দিলে মন)প্রথম আলোরসব পাঠক এবং আমার সব দর্শকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁদের ভালোবাসার কারণে আমি আরিফিন শুভ। ছুঁয়ে দিলে মন ছবিটি যখন মুক্তি পায়, তখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা চলছিল। ওই সময়ে অনেকেই ছবিটি মুক্তি না দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ছবিটিও দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়েছে। দেশে ও দেশের বাইরের দর্শকেরা আগ্রহ নিয়ে ছবিটি দেখেছেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি বলেই ছবিটি সবার ভালো লেগেছে। এর পুরো কৃতিত্ব ছবির পরিচালক শিহাব শাহীন আর পুরো ইউনিটের।মাহফুজ আহমেদ (জিরো ডিগ্রি)পাঠকদের ভোটে এই বিভাগে আমার সঙ্গে যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁরা সবাই খুবই জনপ্রিয়। আর আমি একটা মাত্র কাজ করেছি। পুরস্কার পাব কি না, জানি না। তবে দর্শক ভালোবেসে আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাতেই আমি খুশি হয়েছি। দর্শকের ভালোবাসাই বড় পুরস্কার।মোশাররফ করিম (জালালের গল্প)জালালের গল্প ছবির জন্য এর আগে পর্তুগাল থেকে পুরস্কার পেয়েছি। এবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি। সব মিলিয়ে দারুণ অনুভূতি।শাকিবখান (এই তো প্রেম)শাকিব খান শিকারী ছবির শুটিং করছেন ভারতের বিভিন্ন স্থানে। নানাভাবে চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত তাঁর অনুভূতি জানা সম্ভব হয়নি। সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রীঅপুবিশ্বাস(লাভম্যারেজ)সপ্তাহ দুয়েক ধরে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।বিদ্যা সিনহা মিম (পদ্মপাতার জল)ভালো লাগছে। তবে বেশি ভালো লাগছে পদ্মপাতার জল ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাঠক জরিপে মনোনয়ন পেয়ে। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় দিয়েছি, কষ্ট করেছি। যেসব দর্শক আমার অভিনয় পছন্দ করে আমাকে ভোট দিয়ে এ পর্যায়ে এনেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।মম (ছুঁয়ে দিলে মন)ছুঁয়ে দিলে মন ছবিটি নিয়ে আমার সব সময়ই অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। এই ছবিতে কাজ করে আমি আমার চলচ্চিত্রের অভিনয়জীবনে সবচেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। ছবিটি দর্শকেরা অনেক পছন্দ করেছেন। প্রায় এক বছর হয়ে গেল ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। অথচ এখনো দেশ-বিদেশে ছবিটির প্রদর্শন চলছে। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য পাঠকদের ভোটে মনোনয়ন পেয়েছি। ভালো কিছু করার চেষ্টা যেন সার্থক হয়েছে। আমি অনেক খুশি।মাহিয়া মাহি (রোমিও বনাম জুলিয়েট)মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার আয়োজনে মনোনয়ন পাওয়াই আমার কাছে চূড়ান্ত পুরস্কার পাওয়ার আনন্দ। এত এত ভালো ছবি, এত ভালো ভালো অভিনেত্রীর মধ্যে রোমিও বনাম জুলিয়েট ছবিতে অভিনয়ের জন্য জন্য পাঠকেরা ভোট দিয়ে আমাকে মনোনয়নে জায়গা করে দিয়েছেন। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আর যেসব পাঠক আমার অভিনয় পছন্দ করে ভোট দিয়ে আমাকে এগিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।সেরা নবীন অভিনয়শিল্পীনুসরাত ফারিয়া (আশিকি)আমার অভিনীত প্রথম ছবির জন্যই মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে নবীন অভিনয়শিল্পী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছি। খুব খুশি হয়েছি। চূড়ান্তভাবে এ পুরস্কার পাব কি না, জানি না। তবে এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়াটাই আমার কাছে বড় অর্জন বলে মনে করছি। আর যেসব পাঠক আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে এ পর্যায়ে এনেছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।পরীমনি (ভালোবাসা সীমাহীন)ভালোবাসা সীমাহীন আমার প্রথম ছবি। ছবিটি মুক্তির আগে আমার মধ্যে যে ভালো লাগা কাজ করছিল, এবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার আয়োজনে মনোনয়ন পেয়ে তেমনি অনুভূতি হচ্ছে। এই অনুভূতি কাউকে বলে বোঝাতে পারব না। পুরস্কার আমার কাছে মুখ্য নয়, মনোনয়ন পেয়েছি এটাই বড় ব্যাপার, বড় আনন্দের। মৌসুমী হামিদ (ব্ল্যাক মানি)পুরস্কার পাওয়া বড় কথা নয়, নবীন অভিনয়শিল্পীর চারজনের নামের তালিকায় আমার নামটি আছে, তাতেই নিজেকে ধন্য মনে করছি। এত অল্প সময়ে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাব, কল্পনাও করতে পারছি না। মোহনা মিম (লাল চর)মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনেক সম্মানের। এই পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমি সম্মানিত বোধ করছি। চলচ্চিত্রে আমার প্রথম কাজ লালচর। প্রথম ছবির জন্যই পাঠকের ভোটে মনোনয়ন পেয়েছি। এর জন্য পাঠকের কাছে কৃতজ্ঞ। এ ছাড়া আমার সঙ্গে আর যে তিনজন মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁদেরকেও শুভেচ্ছা। মন্তব্য নিয়েছেন: মেহেদী মাসুদ, মনজুর কাদের, হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক ও শফিক আল মামুন | 222,406 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৩ আগস্ট ২০১৩, ০২:১৬ | ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২৭ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,সাকিব আল হাসান | null | ট্রাইডেন্টের জয়ে সেরা সাকিব | http://www.prothom-alo.com/sports/article/33982 | ব্যাট হাতে দুঃসময় কাটছেই না সাকিব আল হাসানের। তবে বল হাতে যথারীতি ধারাবাহিক। তাতেই হয়েছেন ম্যাচ-সেরা। উইকেট মাত্র একটি, তবে সাকিব পেয়েছেন আসলে কিপটে বোলিংয়ের পুরস্কার। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে সাকিবের বারবাডোজ ট্রাইডেন্ট। পরশু রাতে (বাংলাদেশ সময় গতকাল সকাল) অ্যান্টিগা হকবিলসকে ১২ রানে হারিয়েছে ট্রাইডেন্ট।মাঝারি স্কোরের ম্যাচে ব্যবধান গড়েছে আসলে সাকিবের স্পেলটাই। ট্রাইডেন্টের অফস্পিনার অ্যাশলি নার্স ২৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পরও ম্যাচ-সেরা সাকিব। তাঁর বোলিংয়েই ১৪৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি হকবিলস। নতুন বল হাতে নিয়ে সাকিব উইকেটে বেঁধে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের।পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩ ওভারে একটি মেডেনসহ দিয়েছেন মাত্র ১২ রান, সঙ্গে রিকি পন্টিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সাকিবের ঝুলিয়ে দেওয়া বল স্পিন করে বাইরে যাওয়ার সময় ব্যাট ছুঁইয়ে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন পন্টিং। পরে ৭ ওভারে যখন প্রয়োজন ৭৩, বেন রোরার ও মারলন স্যামুয়েলসের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকার পরও সাকিব নিজের শেষ ওভারে দিয়েছেন মাত্র চার রান। হকবিলস থমকে যায় ১৩৪ রানে।ট্রাইডেন্টের হয়ে আবারও সর্বোচ্চ রান করেছেন শোয়েব মালিক (৩৩)। সঙ্গে জোনাথন কার্টারের ৩১ ও উমর আকমলের ৩০ দলকে এনে দেয় ১৪৬ রান। চারে নেমে সাকিব কট বিহাইন্ড হয়েছেন স্যামুয়েলসের বলে। আজ রাতেই আবার মাঠে নামবে সাকিবের দল, প্রতিপক্ষ টি অ্যান্ড টি রেড স্টেলস। ওয়েবসাইট। | 7,111 |
আব্দুল কুদ্দুস, ঘুমধুম সীমান্ত থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৪৪ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৪৫ | -1 | null | কারাভোগ শেষে মিয়ানমারের ৯১ নাগরিককে হস্তান্তর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1030947 | বাংলাদেশে কারাভোগ শেষ হওয়ায় মিয়ানমারের ৯১ জন নাগরিককে আজ বুধবার দুপুরে সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বিজিবি বিওপিতে (তল্লাশি চৌকি) অনুষ্ঠিত এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।বৈঠকে উপস্থিত কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৫ নটিক্যাল মাইল দূরে বাংলাদেশ জলসীমায় নৌবাহিনীর বানৌজা ধলেশ্বরী জাহাজ টহল দিচ্ছিল। এ সময় বাংলাদেশের জলসীমায় মিয়ানমারের কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে নৌবাহিনী তাদের চ্যালেঞ্জ করে। তখন ট্রলারগুলো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ধাওয়া করে ১২টি ট্রলারে থাকা ৯২ জনকে জেলেকে আটক করে নৌবাহিনী। পরের দিন তাঁদের টেকনাফ থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাঁদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠান। তাঁদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে কারাগারে মারা যান। বাকি ব্যক্তিদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ সকাল আটটায় তিনটি বাসে করে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ঘুমধুম বিজিবি ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ৯১ নাগরিকের অধিকাংশ রোহিঙ্গা। ঘুমধুম সীমান্তের অপর প্রান্তে মিয়ানমার।বৈঠকে বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল এম এম আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েস, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন । | 269,887 |
ঝালকাঠি প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২১ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২৩ | ঝালকাঠি,বরিশাল,আইন ও বিচার | 0 | লিমনের মায়ের রিভিশনের শুনানি আবার পেছাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/45772 | ঝালকাঠির কলেজছাত্র লিমন হোসেনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তাঁর মায়ের করা মামলা টিকিয়ে রাখতে আদালতে করা রিভিশন আবেদনের ওপর গতকাল রোববারও শুনানি হয়নি। আবেদনটি শুনানির জন্য গতকাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কার্যতালিকায় ছিল।জানা গেছে, জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল্লাহ ছুটিতে থাকায় গতকাল শুনানি হয়নি। ভারপ্রাপ্ত বিচারক আগামী ৯ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। গত ১৯ মার্চ লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম রিভিশন আবেদন করেছিলেন। এ নিয়ে চারবার রিভিশনের শুনানির তারিখ পেছাল। লিমনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল হেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে র্যাবের ছয় সদস্যকে আসামি করে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নালিশি মামলা করেন। একই বছরের ২৬ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে রাজাপুর থানার পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করতে বাধ্য হয়। গত বছরের ১৪ আগস্ট বরিশাল র্যাব-৮-এর উপপরিচালক লুৎফর রহমানসহ র্যাবের ছয় সদস্যকে লিমন হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম তালুকদার। পরে ৩০ আগস্ট হেনোয়ারা বেগম চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। ২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে বাড়ির কাছে মাঠে গরু আনতে গেলে সন্ত্রাসী মোর্শেদ জমাদ্দার ভেবে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র লিমনকে র্যাব ধরে নিয়ে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। তিনি অজ্ঞান অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়েছিলেন। ওই অবস্থায় তাঁর কাছ থেকে র্যাব একটি পিস্তল উদ্ধারের ঘটনা সাজায়। এ ঘটনায় বরিশালে র্যাব-৮-এর তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) লুৎফর রহমান বাদী হয়ে লিমনসহ আটজনের নামে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করেন। একটি অস্ত্র আইনে এবং অন্যটি সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে। গত ২৯ জুলাই র্যাবের দায়ের করা অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি পান লিমন। তবে ঝালকাঠিতে মুখ্য বিচারিক হাকিমের পদ শূন্য থাকায় সরকারি কাজে বাধাদানের মামলা থেকে লিমন অব্যাহতি পাননি। | 15,398 |
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০১ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০২ | দাউদকান্দি,কুমিল্লা,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | গাঁজা সেবনের দায়ে কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1040657 | গাঁজা সেবনের দায়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় মহিউদ্দিন রনি (২২) ও আল আমিন মিয়াজী (২৫) নামের দুই তরুণকে দুই মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাহী হাকিম ও দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-আমিন তাঁদের এ দণ্ড দেন। দাউদকান্দি থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর বাজারের একটি কিন্ডারগার্টেনের কাছে গাঁজা সেবনের সময় রনি ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। দাউদকান্দি থানার এসআই মো. ইয়ামিন বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কুমিল্লা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। | 274,659 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৪৩ | ১৩ আগস্ট ২০১৮, ০৮:৪৩ | রাজনীতি | null | কিছু তথ্য এসেছে, যা উদ্বেগজনক: জয় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1552666 | সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য টাকা পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ রোববার নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘কিছু তথ্য আমার কাছে এসেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিন্দিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সম্প্রতি নিউইয়র্ক এসেছিলেন। সেখানে তিনি গোপনে যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা মীর কাসেমের ভাই মামুনের সঙ্গে দেখা করেন। আমরা জানতে পেরেছি, মামুনের কাছ থেকে তিনি বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছেন। টাকাটা তাঁকে দেওয়া হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। তাঁদের এ আলাপ দেখেছে ও শুনেছে এমন সাক্ষীও আছেন।’জয় বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র খুবই সাধারণ একটি বিষয়। এ প্রবন্ধটিতে (স্ট্যাটাসে সংযুক্ত প্রবন্ধ) খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের ‘কু-শীল’ সমাজ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন, যদি ১৯৭৫–এর ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হতো। ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে অপরিচিত বা অজনপ্রিয় মানুষের ভূমিকা কম। একটি ষড়যন্ত্রকে সফল করতে হলে দরকার হয় উচ্চপর্যায়ের ও ক্ষমতাবান কাউকে। যেমন সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা বা আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।’ | 373,417 |
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৪ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৫ | মহানগর | 0 | আবদুস সামাদ জাতির কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/333931 | সংবিধানবিশেষজ্ঞ ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন ভাষাসৈনিক আবদুস সামাদ। তিনি সব সময় প্রতিবাদ করতেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আর জাতির কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর জীবন।সদ্য প্রয়াত ভাষাসৈনিক আবদুস সামাদের নাগরিক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এ স্মরণসভার আয়োজন করে নাগরিক সমাজ।গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ভাষা আন্দোলন করায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন আবদুস সামাদ। কিন্তু কখনোই নীতির কাছে আপস করেননি। তাই তাঁর আদর্শকে লালন করে দেশের উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।ঐক্য ন্যাপের নেতা পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, মানুষ ও মাটির সঙ্গে মিশে আছেন আবদুস সামাদ। তাই মানুষের সমস্যাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। এতে করে সমাজে ‘বাতিঘর’ হয়ে থাকবেন তিনি।আইনজীবী আমীর-উল ইসলাম বলেন, নিজের দেশকে বুঝতেন ও ভালোবাসতেন আবদুস সামাদ। তাঁর প্রতিটি কাজ ছিল জাতির জন্য বড় স্বপ্ন। তাই তাঁর অসমাপ্ত সৃজনশীল কাজকে বাস্তবে রূপান্তর করতে হবে।গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, দেশে গণতন্ত্রের জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করেছেন আবদুস সামাদ। তিনি নিজের জন্য না ভেবে জাতীয় সমস্যা নিয়ে কাজ করতেন। এতে করে গণমানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি।অনুষ্ঠানে ভাষাসংগ্রামী ও শব্দসৈনিক কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে ও কবি আসাদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহম্মদ আলী, শিক্ষাবিদ নুর মোহাম্মদ তালুকদার, অধ্যাপক শান্তনু কায়সার, অজয় রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন। | 97,667 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪, ০৯:৩২ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪, ০৯:৩৩ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | আবারও জোড়া গোল মেসির | http://www.prothom-alo.com/sports/article/125035 | ব্যালন ডি’অর না পাওয়ার আক্ষেপটা মাঠে ভালোমতোই ঘুচিয়ে দিচ্ছেন লিওনেল মেসি। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেই করেছিলেন জোড়া গোল। গতকাল গেটাফের বিপক্ষে কোপা দেল রের দ্বিতীয় লেগের খেলায়ও জোড়া গোল করেছেন এই আর্জেন্টাই তারকা। বার্সেলোনাও পেয়েছে ২-০ গোলের জয়। গেটাফের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-০ গোলের জয় দিয়ে কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে কাতালানরা।ইনজুরি কাটিয়ে ন্যু ক্যাম্পে ফেরার পর গতকালই প্রথমবারের মতো শুরু থেকে মাঠে ছিলেন মেসি। সঙ্গে পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকেও। কিন্তু ২৫ মিনিটের মাথায় পা মচকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমারকে। তাতে অবশ্য জয় আটকায়নি বার্সেলোনার। ৪৪ মিনিটে গেটাফের জালে প্রথমবারের মতো বল জড়িয়ে দেন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে আরও একটি দৃষ্টিনন্দন গোল উপহার দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। তবে বার্সেলোনার জয়ের মধ্যেও দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে নেইমারের ইনজুরি। যদিও ম্যাচ শেষে সমর্থকদের আশার বাণীই শুনিয়েছেন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। মাত্র ২৫ মিনিটের মাথায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হলেও নেইমারের ইনজুরিটা খুব বেশি গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন কোচ, ‘যতটা গুরুতর মনে হয়েছিল, নেইমারের ইনজুরিটা ততখানি গুরুতর নয়। মনে হয় সে খুব দ্রুতই আবার মাঠে ফিরতে পারবে।’বার্সেলোনার জয়ের রাতে ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কাতালানদের মাঝমাঠের মধ্যমণি জাভি। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে তিনি স্পর্শ করেছেন বার্সেলোনার হয়ে ৭০০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলক।— রয়টার্স | 44,076 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০৮ মার্চ ২০১৮, ২৩:০৫ | ০৯ মার্চ ২০১৮, ০৩:১৪ | হলিউড | 0 | পুরান চাল ভাতে বাড়ে | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1446306 | এ বছর অস্কার নিয়ে কত ঘটনাই তো এখনো হচ্ছে খবরের শিরোনাম। তবে বিজয়ীর তালিকা দেখে একটা বিষয় কি চোখে পড়েছে কারও? এ বছরের অস্কারে অধিকাংশ বিজয়ী পঞ্চাশোর্ধ্ব।বয়স যে শুধু সংখ্যা, এটা প্রমাণ করে দিলেন ৫০ পেরোনো অস্কারজয়ীরা। মূল বিভাগে এ বছর অস্কার পাওয়া সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তিটি ৩৯ বছরের। আর সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ জন আগামী ৭ জুন ৯০ ছোঁবেন। এমনকি অভিনয়শিল্পীদের বিভাগে ৪ অস্কারজয়ী তারকার বয়সও ৫০-এর নিচে নয়।সেরা অভিনেতা গ্যারি ওল্ডম্যান। বুড়ো মানুষ গ্যারি, এটা তো তাঁর নামের পদবি থেকেই বোঝা যায়। কিন্তু ওল্ডম্যানের মনের তারুণ্যকে ছুঁতে পারেন, এমন তরুণ আছেন কজন? ৫৯ বছর বয়সী গ্যারি অস্কার জিতলেন তাঁর ডার্কেস্ট আওয়ার ছবির জন্য। এ অস্কার জিততে তিনি লড়াই করেছেন ২২ বছর বয়সী টিমোথি শ্যালামেট ও ২৯ বছর বয়সী ড্যানিয়েল কালুইয়ার সঙ্গে।সেরা অভিনেত্রী বিভাগে অস্কার পাওয়া ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ডের অবস্থাও অনেকটা একই। থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, বিলবোর্ড ছবি দিয়ে তিনি অস্কার পাওয়ার জন্য ২৭ বছরের মারগট রোবি ও ২৩ বছর বয়সী সারশা রোনানের সঙ্গে লড়াই করেছেন। তবে শেষ নাগাদ জয় হয়েছে ৬০ বছর বয়সী ম্যাকডরম্যান্ডেরই।অস্কারের মূল বিভাগগুলোর মধ্যে সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য শাখায় জর্ডান পিলে পুরস্কার জিতে বয়সের পাল্লা খানিকটা হালকা করেছেন। পিলের বয়স ৩৯। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ চিত্রনাট্যকার হিসেবে অস্কার জিতে তিনি ইতিহাসও গড়েছেন এবারের আসরে।চিত্রনাট্যেরই আরেকটি শাখা সেরা চিত্রনাট্য (অ্যাডাপ্টেড)। এ বছরের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ অস্কারজয়ী ব্যক্তিটি এ শাখারই মানুষ। তাঁর নাম জেমস ফ্রান্সিস আইভরি, বয়স এখন ৮৯। আগামী ৭ জুন তিনি পালন করবেন তাঁর ৯০তম জন্মদিন। এই বয়সেই দিব্যি লিখে যাচ্ছেন নতুন নতুন চিত্রনাট্য, সেগুলো সাড়া ফেলছে সব বয়সী দর্শকদের মধ্যে।স্যাম রকওয়েলের বয়স ৪৯। পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতা বিভাগে তিনি জিতেছেন অস্কার। জীবনের অর্ধশতক শুরুর আগে এই অর্জন তাঁকে এগিয়ে নিল। সঙ্গে তাঁর চেয়ে বড় বড় শিল্পীদের উপস্থিতি তাঁকে সাহসও জোগাল—৫০ সামনে তো কী হয়েছে, সবে তো জয় শুরু হলো। ৫৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী অ্যালিসন জ্যানিও তো এ বছর পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জিতলেন। লাল গাউনে সোনালি অস্কার হাতে নিয়ে তিনি ষোড়শী অভিনেত্রীদের চেয়েও বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছিলেন।চিত্রগ্রাহক রজার ডেকিন্সের কথা তো বলাই হলো না। এর আগে ১৩ বার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু কোনো বছরই স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর। অবশেষে ৯০তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে এসে জিতলেন স্বপ্নের অস্কার। ৬৮ বছর বয়সে এসে অস্কার মূর্তিকে ঘরে তুললেন এই কিংবদন্তি। এরপরও কি বয়স হয়ে যাচ্ছে বলে বলে কপালে ভাঁজ ফেলবেন? | 357,243 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১১ জুন ২০১৮, ১২:২৬ | ১১ জুন ২০১৮, ১২:৩৩ | আসিফ আকবর,আইন ও বিচার,বাংলা গান | null | জামিন পেলেন গায়ক আসিফ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1507501 | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। আজ সোমবার সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সাহেরা বেগম প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ দিনের যেকোনো সময় কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পাবেন।এর আগে আইসিটি আইনে দায়ের করা মামলায় গত বুধবার আসিফ আকবরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় রায় এর আগে আসিফ আকবরকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। কিন্তু এই আবেদন নাকচ করেন আদালত। এ সময় জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে দিয়ে আসিফ আকবরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।আইসিটি আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে মগবাজারে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। মামলার বাদী শফিক তুহিন প্রথম আলোকে বলেন, আসিফকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সিআইডির পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় শফিক তুহিন মামলাটি করেন। মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন।শফিক তুহিন তাঁর মামলায় অভিযোগ করেছেন, ১ জুন রাত নয়টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।শফিক তুহিন তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঘটনা জানার পর তিনি ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তাঁর সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তাঁর ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শফিক তুহিনকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে। | 366,935 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৫০ | ২৩ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৫১ | রাজধানী (জাতীয়),সিটি নির্বাচন,নির্বাচন | 0 | জোনায়েদ সাকির জনসংযোগ মিরপুরে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/510154 | ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী জোনায়েদ সাকি গতকাল বুধবার মিরপুরের সেনপাড়া, মনিপুর, বড়বাগ, পীরেরবাগ, কল্যাণপুর, আগারগাঁও, তালতলা, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়ায় জনসংযোগ করেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁর কাছে।ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেলিস্কোপ প্রতীকে ভোট চান তিনি।জনসংযোগকালে বাসিন্দারা সাকিকে বলেন, সিটি করপোরেশনের উদাসীনতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। যানজটের কারণে মিরপুর এলাকা থেকে কর্মস্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় ব্যয় হয়। কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, নির্মাণসামগ্রী রাস্তার ওপর ও ফুটপাতে রাখার কারণে চলা দায় হয়ে যায়। অনেকে খেলার মাঠ, সাইকেলের পৃথক লেন করার দাবি জানান। | 133,525 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ মে ২০১৪, ০২:২০ | ০৬ মে ২০১৪, ০২:২০ | গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/209359 | গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌর এলাকায় গত রোববার বিকেলে এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গতকাল সোমবার এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা রোববার রাতে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেছেন। এতে পৌর এলাকার শাওন আহাম্মেদ (২২) ও তাঁর এক ফুপাতো বোনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, শাওনকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ধর্ষণে সহযোগিতা করায় শাওনের ফুপাতো বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুর প্রতিনিধি | 71,041 |
বগুড়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:৩৪ | ২৮ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:৪২ | আইন ও বিচার,রাজশাহী বিভাগ,বগুড়া | 0 | শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনায় রিমান্ডে ৩ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/697069 | বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার সন্দেহভাজন তিনজনকে বগুড়ার অতিরিক্ত বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ দুজনের জন্য ১০ দিন ও অপরজনের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় দুজনের জন্য সাত দিন ও অপরজনের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।রিমান্ডে নেওয়া তিনজন হলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) সদস্য আনোয়ার হোসেন (৫৫), মাদ্রাসা ছাত্র জুয়েল মিয়া (২০) ও কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম (৬০)।এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জের চককানু গ্রামের মসজিদ-ই-আল মোস্তাফা শিয়া মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় রাতেই উপজেলার সৈয়দ দামগাড়া গ্রাম থেকে জেএমবির এহসার সদস্য আনোয়ার হোসেন ও হরিপুর গ্রাম থেকে জুয়েল মিয়াকে আটক করে পুলিশ। জুয়েল স্থানীয় আলাদীপুর মাদ্রাসার আলিম ক্লাসের ছাত্র। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ একই উপজেলার মোলামগাড়ি এমদাদুল উলুম কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শামসুল আলম ও তাঁর ছেলে একই মাদ্রাসার শিক্ষক আবু হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবু হাসানকে ছেড়ে দেওয়া হলেও শামসুল ইসলাম এবং অন্য দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) কামরুজ্জামান।বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই তিনজনকেই রিমান্ডের জন্য বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে আদালত এসব রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’বৃহস্পতিবারের ওই হামলার ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেনকে (৫৮) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। অন্য তিনজনের মধ্যে মসজিদের ইমাম শাহীনুর রহমান, মুসল্লি আবু তাহের এবং আফতাব আলীকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আফতাব ছাড়া অন্যরা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় মসজিদের কোষাধ্যক্ষ সোনা মিয়া বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই শিবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। | 178,395 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০০:৪৯ | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০০:৫২ | আরব বিশ্ব | null | ইয়েমেনে হুতিদের ওপর জোটের প্রচণ্ড হামলা | http://www.prothom-alo.com/international/article/488905 | সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব যৌথ বাহিনী ইয়েমেনে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের ওপর গতকাল শনিবারও প্রচণ্ড বিমান হামলা চালিয়েছে। এটা ছিল সম্প্রতি দেশটির ক্ষমতা দখলকারী হুতিদের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফা বিমান হামলা। গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া আরব দেশগুলোর যুদ্ধবিমানের বোমাবর্ষণ গতকালও অব্যাহত থাকে। খবর বিবিসি ও এএফপির।এডেনমুখী বিদ্রোহীদের রুখতে ইয়েমেনের দেশছাড়া প্রেসিডেন্ট আবদুরাব্দ মনসুর হাদির অনুগত বাহিনী হুতিদের বিরুদ্ধে স্থলযুদ্ধ শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে হুতিদের পক্ষে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে জোটের যুদ্ধবিমানগুলো বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রাজধানী সানায় প্রচণ্ড হামলা চালায়। এর পাশাপাশি হুতিদের কবজায় থাকা উত্তরাঞ্চলীয় সাদা শহরেও হামলা চলে। বিদ্রোহীদের অস্ত্রভান্ডার, সামরিক ঘাঁটি এবং তাদের বাসস্থান ছিল হামলার লক্ষ্য। বিমান হামলা শুরুর পর থেকে সানার বাসিন্দারা নগরটি ছাড়তে শুরু করেছেন। পেট্রলপাম্পগুলোতে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। সানার বাসিন্দা মোহাম্মদ আল জাবাহি বলেন, ‘বাড়ির ওপর দিয়ে বিমান উড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে আমার তিনটি বাচ্চা ভয়ে ঘরের একপাশে জড়ো হয়ে কাঁদতে শুরু করে।’ গতকাল শনিবার ভোর পর্যন্ত সৌদিনিয়ন্ত্রিত জোট বাহিনীর হামলা চলে। এডেন বিমানবন্দরের দিকে হুতি বিদ্রোহীদের অগ্রাভিযান ঠেকাতে জোট বাহিনী সেখানেও তাদের ওপর বিমান হামলা চালায়। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এডেন উপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান থেকে বেরিয়ে আসা দুই সৌদি বৈমানিককে উদ্ধার করেছে।প্রতিবেশী সুন্নিপ্রধান সৌদি আরব হাদির সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। তারা হুতি বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করার জন্য শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানকে দায়ী করেছে। মিসরসহ ১০টি আরব দেশ হুতিবিরোধী হামলায় যোগ দিয়েছে বলে দাবি করে আসছে সৌদি আরব। গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ ইয়াসিন বিবিসিকে বলেন, ‘সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হস্তক্ষেপে কেউ খুশি নয়। কিন্তু আমরা বাধ্য হয়েই এর জন্য অনুরোধ করেছি।’ হুতিদের বিরুদ্ধে হামলা দ্রুত শেষ হওয়া উচিত বলেও তাগিদ দেন ইয়াসিন। হুতি বিদ্রোহীদের নেতা আবদুল মালেক আর-হুতি আত্মসমর্পণ না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তাদের ওপর সৌদি হামলাকে ‘অন্যায্য আগ্রাসন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সৌদি হামলার সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ গত শুক্রবার বলেছেন, ‘তাদের এ হামলা বন্ধ করতে হবে।’ তবে সৌদি বাদশাহ সালমান বলেছেন, ইয়েমেনের জনগণের ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত’ হামলা চলবে। ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রেক্ষাপটে মিসরের অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম আল-শেখে চলছে আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে একটি যৌথ সামরিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাগতিক মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সম্মেলনে বলেছেন, আরব অঞ্চল ‘নজিরবিহীন হুমকি’ মোকাবিলা করছে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেন। ওবামা হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক হামলার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে ওবামা ও বাদশাহ সালমান আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানে একমত বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। | 126,961 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০২ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০২ | বিনোদন,টেলিভিশন | null | লাইফ সাপোর্টে খালেদ খান | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/101302 | মঞ্চ ও টিভির অভিনয়শিল্পী এবং নির্দেশক খালেদ খানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। এর আগে দুপুরে হাসপাতালে তাঁর মেয়ে জয়িতা বলেন, ‘বাবাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।’খালেদ খান দীর্ঘদিন মোটর নিউরন সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যার কারণে তাঁর শরীরের মাংসপেশি অকেজো হয়ে যায়। ফলে তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে-চলতে পারতেন না। তাঁকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হতো।হাসপাতালে খালেদ খানের স্ত্রী সংগীতশিল্পী মিতা হক বলেন, ‘গত সোমবার বিকেলে খালেদ খান মালিবাগে চিকিৎসকের কাছে যান। ওই সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শাহীন খান। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন। তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু দীর্ঘ যানজটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। রাস্তায়ই তাঁর রেসপির্যাটরি অ্যাটাক হয়। এ সময় তাঁর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়ে। একসময় তিনি হূদরোগেও আক্রান্ত হন। এরপর তাঁকে বারডেম হাসপাতালে আনা হয়।’গতকাল মুঠোফোনে নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বলেন, ‘সোমবার রাতেই চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে কোনো আশার বাণী শুনিনি। খুব কষ্ট পাচ্ছি। যুবরাজ (খালেদ খানের ডাকনাম) ভিন্ন মাপের একজন শক্তিমান অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে আর কারও তুলনা চলে না।’ | 36,733 |
-1 | sports | খেলা | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১৯ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২০ | খেলা,টেনিস | 0 | নাদালের হার | http://www.prothom-alo.com/sports/article/414595 | আবুধাবির প্রদর্শনী টেনিস টুর্নামেন্টে হেরে গেছেন রাফায়েল নাদাল। কাল সেমিফাইনালে টেনিস র্যাসঙ্কিংয়ের তিন নম্বর তারকাকে ৬-২, ৬-০ গেমে হারিয়েছেন ছয় নম্বরে থাকা অ্যান্ডি মারে। গত বছর অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচারের পর নাদাল প্রথম খেললেন এই প্রদর্শনী টুর্নামেন্টে। আজ ফাইনােল মারের প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচ। এএফপি। | 103,738 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৩:২৮ | ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৩:৫২ | বাংলা গান | 0 | গান শোনাতে মালয়েশিয়া | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1125206 | দেশের দর্শক-শ্রোতারা প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হয়েছেন চিরকুটের গানে। দেশের বাইরে যেখানেই গেছেন, বরাবরই আনন্দে মাতিয়ে এসেছেন। গান শোনাতে এবার মালয়েশিয়া যাচ্ছে জনপ্রিয় দলটি। দেশটির নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা হবে বলে আনন্দিত চিরকুট।দেশের নানা প্রান্তের মঞ্চে পরিবেশনা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে গানের দল চিরকুট। আছে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। চিরকুট ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য শারমীন সুলতানা সুমী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, মালয়েশিয়াতে বাঙালিদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান এটি। এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।’ এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে গান শোনাতে গেছে চিরকুট। মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন-এর আমন্ত্রণে ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ছাড়বে দলটি। | 307,536 |
গাজীপুর ও গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি এবং ফরিদপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪২ | ০৪ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪৪ | অপরাধ | 0 | হাসপাতালে ও আটকে রেখে তিন কিশোরীকে ধর্ষণ! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/819202 | ফরিদপুরে রোগী দেখতে গিয়ে হাসপাতালে এক কিশোরী, বরিশালে অপহৃত এক স্কুলছাত্রী এবং গাজীপুরে আরও এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশালের ঘটনায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার এবং গাজীপুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন একজন রোগী বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁকে দেখতে এসেছিল পরিচিত মেয়েটি (১৭)। ভুল করে ছয়তলার চিলেকোঠায় উঠে গেলে সেখানে তিন তরুণ তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিমউদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে।ওসিসির ওয়ার্ড ইনচার্জ মো. কাউসার গতকাল রোববার বলেন, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কিশোরীটিকে এখানে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা এখন ভালো। আর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম আজাদ বলেন, ‘মেডিকেল প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযোগের যথার্থতা জানা যাবে।’হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক কে এম খবির বলেন, গতকাল কিশোরীটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে আনুষঙ্গিক আরও কিছু পরীক্ষার পর মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে।এদিকে অপহরণ করে ২৮ দিন আটকে রেখে বরিশালের গৌরনদীর একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ শনিবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে সুলতান আহম্মেদ (৩০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সুলতানের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আমলাগাছিয়া গ্রামে।গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, মেয়েটি নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। গত ৫ মার্চ সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে সুলতানের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম আশুলিয়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার রাত সাড়ে আটটায় আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও সুলতানকে গ্রেপ্তার করে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে গতকাল বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মেয়েটির অভিযোগ, সুলতান তাকে আশুলিয়ার একটি বাসায় ২৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এ ব্যাপারে মেয়েটির নানা গৌরনদী মডেল থানায় শনিবার একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছেন। সুলতানকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।অন্যদিকে, গাজীপুরে এক কিশোরীকে (১৬) দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই কর্মীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।কিশোরীর পরিবার ও পুলিশের ভাষ্য, মেয়েটি সপরিবারে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। স্থানীয় একটি লন্ড্রি দোকানের মালিক সুজন মিয়া তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর এলাকার যুবলীগের কর্মী শহিদ মিয়া ও ছাত্রলীগের কর্মী নাহিদ হোসেনের কাছে যান সুজন। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক নারীর সহায়তায় মেয়েটিকে ডেকে এক বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন শহিদ, নাহিদ ও সুজন। দুই দিন আটকে রেখে শনিবার তাঁরা তাকে ছেড়ে দেন।কোনাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর সেলিম রহমান অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গতকাল তাঁর কার্যালয়ে ডেকে আনেন এবং পুলিশকে জানান। পরে অভিযুক্ত তিনজনকে ও তাঁদের সহযোগিতা করার অভিযোগে মুক্তা বেগম নামে এক নারীকে আটক করা হয়।পুলিশ জানায়, মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বিকেলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। | 217,045 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:৩৭ | ১১ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:৪২ | আইন ও বিচার,প্রশ্নফাঁস,রাজধানী (জাতীয়) | null | প্রশ্নপত্র ফাঁস: অন্যতম আসামির জামিন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1406691 | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামি রাকিবুল হাসান জামিন পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা জামিন দেন।ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আদালত সূত্র বলছে, এ মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামি জামিনে বেরিয়ে গেছেন। ওই চারজনই গ্রেপ্তারের পর নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এঁরা হলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশরাক হোসেন রাফি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজাউর রহমান সানা, আজিজুল হাকিম ও তানভীর আহমেদ মল্লিক।সর্বশেষ গত রোববার গভীর রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেন। এই দুজন সিহাব হাসান খান ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ও সালমান এফ রহমান সমাজকল্যাণ বিভাগে পড়েন। তাঁরা ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির দুটি চক্রের মোট ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে ওই দুজন পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। তাঁদের প্রতিজনের কাছ থেকে ৪ লাখ করে টাকা নিয়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হাতে তুলে দিয়েছিলেন নাটোর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান। রাকিবুলকে ৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।।সিআইডি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের কর্মী সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে প্রশ্ন পান নাটোর ও পাবনা জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান। এরপর তিনি ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ২২ জন শিক্ষার্থীকে সাভারের পল্লি বিদ্যুৎ এলাকায় তাঁর বোনের বাড়িতে নিয়ে রাখেন। সেখানেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সমাধান তাঁদের মুখস্থ করানো হয়। ওই ২২ জনের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ করে টাকা নিয়েছিলেন রাকিবুল। রোববার গ্রেপ্তার হওয়া সিহাব ও সালমান ওই ২২ জনের মধ্যে দুজন। ওই দুজন ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে তাঁদের সঙ্গে থাকা ২২ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম সোমবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেনগত ১৯ অক্টোবর রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে তাঁদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানজিল, বিকেএসপির সহকারী পরিচালক (বরখাস্ত) অলিপ বিশ্বাস, অলিপের ভাই উৎপল ও জেনিথ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য হিসেবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস সরবরাহ করেন। এই ডিভাইস নিয়ে হলে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা তাঁদের কাছে প্রশ্নপত্র পাঠান। চক্রের অন্য সদস্যরা দ্রুত উত্তরপত্র তৈরি করে আবার সেসব পরীক্ষার্থীর কাছে সরবরাহ করেন। | 351,000 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ মার্চ ২০১৪, ০২:১৫ | ০৫ মার্চ ২০১৪, ০২:১৮ | -1 | null | গরিবের দেড় টাকা, ধনীর দুই পয়সা! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/161284 | বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সবচেয়ে গরিব আবাসিক গ্রাহকদের প্রতি ইউনিট (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম এক টাকা ৩৭ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আর সবচেয়ে ধনী আবাসিক গ্রাহকের প্রতি ইউনিটের দাম বাড়াতে বলেছে মাত্র দুই পয়সা।কৃষি জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। কিন্তু পিডিবির প্রস্তাবে সেচপাম্পের জন্য প্রতি ইউনিটের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে এক টাকা ৪৯ পয়সা। সেচপাম্পে ব্যবহূত বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট এখন আছে দুই টাকা ৫১ পয়সা। পিডিবি করতে চাইছে চার টাকা।সবচেয়ে গরিব আবাসিক গ্রাহকদের অবস্থান বিদ্যুতের গ্রাহকশ্রেণীর সর্বনিম্ন ধাপে। প্রতি মাসে তাঁরা সর্বোচ্চ ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। পিডিবির বিতরণ এলাকায় এই শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বর্তমান দাম তিন টাকা ৩৩ পয়সা। এই দাম বাড়িয়ে চার টাকা ৭০ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।সবচেয়ে ধনী আবাসিক গ্রাহকেরা প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন ৬০০ ইউনিটের বেশি। তাঁদের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রতি ইউনিটের দাম নয় টাকা ৩৮ পয়সা। এটা বাড়িয়ে নয় টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে পিডিবি।এই হিসাবে দাম বাড়ানো হলে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকের প্রতি মাসে বিল বাড়বে ১০২ টাকা ৭৫ পয়সা। আর ৬০১ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিল বাড়বে ১২ টাকা ০২ পয়সা।পিডিবির প্রস্তাবে সবচেয়ে গরিব ছাড়াও গ্রাহকশ্রেণীর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক বেশি রাখা হয়েছে। মাসে ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী দ্বিতীয় ধাপের গ্রাহকের জন্য প্রতি ইউনিটের দাম এক টাকা ২৭ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপের ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীর প্রতি ইউনিটের দাম এক টাকা ৪২ পয়সা এবং চতুর্থ ধাপের ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারীর প্রতি ইউনিটের দাম এক টাকা ৫৭ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।এর চেয়েও বেশি, মাসে ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট ব্যবহারকারী ধনী গ্রাহকদেরও প্রতি ইউনিটের দাম এক টাকা দুই পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে পিডিবি। অথচ এদের চেয়েও ওপরের ধাপের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতি ইউনিটে মাত্র দুই পয়সা।আবাসিক ছাড়া শিল্প, বাণিজ্যিক প্রভৃতি সব শ্রেণীর গ্রাহকের ক্ষেত্রেই বিভিন্ন হারে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে ধনী আবাসিক গ্রাহকদের জন্যই প্রস্তাবিত বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন।দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের যৌক্তিকতা সম্পর্কে পিডিবির বক্তব্য হচ্ছে—‘অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় বিদ্যুতের যৌক্তিক মূল্যহার নির্ধারিত হলে বিদ্যুতের অপচয় ও চাহিদা হ্রাস পাবে এবং অতি প্রয়োজনীয় কাজে বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত হবে।’কিন্তু দরিদ্র মানুষ অপচয় ও অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বিদ্যুতের ব্যবহার করেন না। করেন ধনীরা। কাজেই বেশি দামের চাপে পড়ে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো সম্ভব ধনী গ্রাহকদের পক্ষে। গরিবদের ওপর যত চাপই দেওয়া হোক, বিদ্যুৎ ব্যবহার প্রান্তিক পর্যায়ে থাকায় তাঁদের পক্ষে তা আর কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে এভাবে দাম বাড়ানোর অভিঘাত সম্পর্কে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এর ফলে নিঃসন্দেহে কৃষির ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে দরিদ্র মানুষ আর্থিক চাপে পড়বেন। ভবিষ্যতে এভাবে দাম বাড়িয়ে যতবারই বিদ্যুৎ খাতের আয়-ব্যয়ে সামঞ্জস্য আনার চেষ্টা করা হবে, ততবারই নিম্ন আয়ের মানুষের ওপরই অপেক্ষাকৃত বেশি চাপ পড়বে। কারণ, উচ্চ আয়ের গ্রাহকের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি আগেই একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে ভর্তুকি কমানোর জন্য দাম বাড়ানোর এত বেশি চাপ অর্থনীতিকে নিতে হতো না। কাজেই শুধু দাম বাড়িয়ে সামঞ্জস্য আনার পরিবর্তে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কীভাবে কমানো যায়, এখন সেই দিকে বেশি নজর দিতে হবে।দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য গত পাঁচ বছরে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার তেলচালিত ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তিন ও পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য স্থাপন করা হয়। এসব কেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম বেশি। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যে কয়লা ও কিছু গ্যাসভিত্তিক বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে বিদ্যুতের দামে সামঞ্জস্য আনার পরিকল্পনা ছিল। কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কম। কিন্তু সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বড় কোনো কেন্দ্র চালু না হওয়ায় এবং বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র স্থাপনে বিরোধিতা থাকায় বেশি দামের তেলভিত্তিক কেন্দ্রই আরও বেশি দিন চালাতে হচ্ছে। বিদ্যুতের দামও বাড়ছে।সব শ্রেণীর গ্রাহক মিলে গড়ে পিডিবি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সাড়ে ১৫ শতাংশ। পিডিবির এই প্রস্তাবের ওপর গতকাল মঙ্গলবার সকালে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বিইআরসির নিজস্ব কারিগরি মূল্যায়ন দল পিডিবির প্রস্তাব পর্যালোচনা করে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি যৌক্তিক হতে পারে বলে মত দিয়েছে।কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে বিইআরসির কার্যালয়ে যখন এই শুনানি চলছিল, তখন ওই ভবনের সামনে চলছিল বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব ও প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান সমাবেশ। গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ওই অবস্থানে বিভিন্ন ছাত্র-গণসংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।শুনানিস্থলেও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব), সিপিবি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলন প্রভৃতি দল ও সংগঠনের নেতারা দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। তাঁরা পিডিবির প্রস্তাবের অসামঞ্জস্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন।গতকাল বিকেলে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ওজোপাডিকো) দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে। ওজোপাডিকো খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২১টি জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। এই কোম্পানি গড়ে ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন দল সেই প্রস্তাব পর্যালোচনা করে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ বাড়ানো যৌক্তিক হতে পারে বলে মত দিয়েছে। ওজোপাডিকোর প্রস্তাবে সবচেয়ে ধনী ও সবচেয়ে গরিব গ্রাহকের জন্য প্রস্তাবিত মূল্যহারে পিডিবির প্রস্তাবের মতো আকাশ-পাতাল ব্যবধান বা অসামঞ্জস্য নেই।তাদের প্রস্তাবে সবচেয়ে গরিব আবাসিক গ্রাহকের জন্য প্রতি ইউনিটে ১৭ পয়সা এবং সবচেয়ে ধনী আবাসিক গ্রাহকের জন্য প্রতি ইউনিটে ৮২ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।গ্রাহক জামানতও বাড়বে: পিডিবি বিদ্যুতের দামের পাশাপাশি গ্রাহকের জামানতও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। প্রত্যেক গ্রাহককে তাঁর চাহিদার বিপরীতে প্রায় দুই মাসের আনুমানিক বিলের সমপরিমাণ অর্থ জামানত হিসাবে দিতে হয়। এখন পিডিবি প্রস্তাব করেছে, তিন মাসের গড় বিলের সমপরিমাণ কিংবা প্রতি কিলোওয়াট চাহিদার জন্য এক হাজার টাকা জামানত হিসাবে জমা দেওয়ার জন্য।আরও শুনানি: দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় আজ বুধবার ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডেসকো) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। কাল বৃহস্পতিবার গণশুনানি হবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) প্রস্তাবের ওপর।শুনানির ভিত্তিতে বিইআরসি ১৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। তবে সে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১ মার্চ থেকেই। অর্থাৎ সব গ্রাহককেই চলতি মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে বর্ধিত দামে।বিইআরসির সূত্রগুলো জানায়, কোম্পানি ও গ্রাহকশ্রেণী ভেদে ৬ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে। | 55,946 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৩ মার্চ ২০১৪, ০০:০১ | ১৩ মার্চ ২০১৪, ০১:২২ | ইউরোপ | 0 | আলোচনায় রাজি নয় রাশিয়া | http://www.prothom-alo.com/international/article/167056 | ইউক্রেনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসতে রাজি নয় রাশিয়া। দুর্ভাগ্যবশত রাশিয়া এই সংকটের কূটনৈতিক সমাধানকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউক্রেনের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ওলেকসান্দার তারচিনভ গতকাল বুধবার এমনই দাবি করেছেন।এদিকে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল ‘দখলের পাঁয়তারা’ বন্ধে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাত শিল্পোন্নত দেশের জোট জি-সেভেন। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, রাশিয়া এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তারাও এককভাবে বা জোটগতভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।জি-সেভেনের নেতারা বলেছেন, ক্রিমিয়ার ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ায় যুক্ত হওয়া নিয়ে যে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে স্বীকৃতি দেবেন না তাঁরা।এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াৎসেনিউক। সেখানে গতকাল তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি ইউক্রেন সংকটের সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।ইউক্রেন নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে। ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইয়াৎসেনিউক নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদে আজ বৃহস্পতিবার ভাষণ দেবেন।ইউক্রেনের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ওলেকসান্দার তারচিনভ বলেন, তাঁর দেশ ক্রিমিয়া নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধে জড়াবে না। তাঁর সেনাবাহিনী শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও কৃষ্ণসাগর উপদ্বীপটি রুশ বাহিনীর কাছ থেকে দখলে নেওয়ার চেষ্টা কখনোই করবে না।রুশপন্থী নেতা ভিক্তর ইয়ানুকোভিচকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত করার পর রাশিয়ার সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের অধিভুক্ত স্বশাসিত অঞ্চল ক্রিমিয়ার ভূখণ্ড দখল করে নেয়।যৌথ নৌ-মহড়া: কৃষ্ণসাগরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায় গতকাল থেকে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বুলগেরিয়া ও রুমানিয়ার যৌথ নৌ-মহড়া। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে ক্রিমিয়ার কাছ থেকে সেখানকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। এই নৌ-মহড়া আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি। | 58,114 |
ভোলা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৬ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৭ | ভোলা,বিশাল বাংলা,অপরাধ,বরিশাল বিভাগ | 0 | ভোলা বিজেপির সম্পাদককে বহিষ্কার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/759568 | বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ভোলা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করেছেন দলের চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। দলীয় প্যাডে গত ২৪ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত চিঠিটি ২ ফেব্রুয়ারি পাওয়া গেছে।প্রবীণ রাজনীতিবিদ আনোয়ার হোসেনের দাবি, গত ১০ জানুয়ারি বিজেপির সাংগঠনিক ও নিজের শারীরিক দুর্বলতার কারণ দেখিয়ে তিনি নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।বিজেপির চেয়ারম্যান বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করেন, ভোলা পৌরসভা নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণার মঞ্চে বক্তব্য দেন। যা দলের নীতিবহির্ভূত। তাই বিজেপির গঠনতন্ত্রের ৩৫ ধারার ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের আলোকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে আনোয়ার হোসেনকে অব্যাহতি এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।তবে আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সারা বাংলাদেশে ৫২টি জেলায় বিজেপির কমিটি ছিল। কমতে কমতে ভোলার একটি কমিটিতে এসে ঠেকেছে। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে শুধু সদর উপজেলায় নামসর্বস্ব কমিটি আছে। তা-ও ইউনিয়ন শাখায় কমিটি নেই। দল চলছে এক চেয়ারম্যানের কথায়। বাকি কেউ নেই। দলে নেতাও নেই, কোনো কার্যক্রমও নেই। এ দলে কাজ করা না-করা সমান কথা। | 198,589 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:১৪ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:১৫ | চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৩২ প্রার্থী গানম্যান পাচ্ছেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/104260 | নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য চট্টগ্রামের ১৬ আসনের প্রার্থীদের একজন করে গানম্যান দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রার্থীদেরগানম্যানদের নিয়োজিত করা হবে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ৩২ জন প্রার্থী রয়েছেন।নগর পুলিশের উপকমিশনার (সদর) মাসুদ-উল- হাসান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রত্যেক প্রার্থীর নিরাপত্তার জন্য একজন করে গানম্যান দেওয়া হবে কয়েক দিনের মধ্যে।আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের সাতটির মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে সাত প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচজন এবং জাতীয় পার্টি ও জাসদের একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে অবশিষ্ট নয়টি আসনে প্রার্থী রয়েছেন ২৫ জন। | 37,444 |
-1 | opinion | মতামত | ১৩ জুন ২০১৬, ০০:০৩ | ১৩ জুন ২০১৬, ০১:১৩ | মতামত | 0 | ব্যাংকিং খাতে সাগরচুরি হয়েছে: অর্থমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/886198 | নিজস্ব প্রতিবেদক | জুন ০৮, ২০১৬সংবাদ: ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে লুটপাট হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, শুধু পুকুরচুরি নয়, সাগরচুরি হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সম্পূরক বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।মাহতাব হোসেনআমাদের অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে হয় যে তিনি ব্যাংক-ব্যবস্থায় ‘পুকুরচুরি’ না হয়ে বরং তারও বড় ‘সাগরচুরি’ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন, অথচ আমরা ঢাকার রাস্তায় দেয়াললিখনে দেখতে পাই, ‘লুটপাট করতে আসিনি, ৪০ বছরের পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি।’যে দেশে, যে সময়ে সর্বক্ষেত্রে লুটপাট-অনিয়ম চলতে চলতে তা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবধি পৌঁছায়, সে দেশে এ সময়ে ওই আপ্তবাক্যটা কেমন হাস্যকর ঠেকে না?রাজিব চৌধুরীআপনারা ক্ষমতায়। তাহলে এই চুরির হোতা কারা?তুষারপ্রথমে বললেন যে চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না, মামুলি ব্যাপার। এরপরে বললেন বাচ্চুকে ধরা হবে। এখন বলছেন সাগরচুরি হয়েছে! আইনগতভাবে তো কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না, তাহলে এভাবে প্রকাশ্যে আক্ষেপ করছেন কেন? আপনার কথার সঙ্গে আপনার সাবেক বস এইচ এম এরশাদের কথার কোথায় যেন মিল অনেক।রাসেলহাওয়া ভবন নিয়ে কত রিপোর্ট হতো পত্রিকায় আর এখন সাগর–মহাসাগরচুরি হলেও এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। কোনো রিপোর্ট নেই। আমরা এগুলো এখন কোনো অন্যায় মনে করি না। | 231,889 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ আগস্ট ২০১৫, ০৩:২৪ | ১১ আগস্ট ২০১৫, ০৩:২৫ | বিশাল বাংলা,গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,দূর্ঘটনা | 0 | পুলিশের গাড়িচাপায় কারখানাশ্রমিক নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/599560 | গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রঙ্গিলাবাজারে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়ির চাপায় এক কারখানাশ্রমিক নিহত হয়েছেন।ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক রাণু নাহার (৩০) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বিলবাঘমারা গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী প্রায় আড়াই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন যানবাহনে ও স্থানীয় একটি কারখানায় ভাঙচুর চালায়।থানার পুলিশ সূত্র জানায়, শ্রীপুরের রঙ্গিলাবাজারের প্যারাডাইস স্পিনিং লিমিটেডের শ্রমিক ছিলেন রাণু। গত রোববার তিনি রাতের পালায় কারখানায় কাজ করেন। কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার সময় গতকাল সকাল ছয়টার দিকে তিনি মহাসড়ক অতিক্রম করছিলেন। এ সময় পুলিশ সদস্যবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচজন বলেন, ওই সময় ভ্যানে পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন।পরে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় অন্তত ১০টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। প্যারাডাইস কারখানার শ্রমিকেরা এলাকাবাসীর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় ওই কারখানার প্রধান ফটকেও ভাঙচুর চালানো হয়। | 159,071 |
কুড়িগ্রাম অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ আগস্ট ২০১৭, ১৮:২৫ | ২৬ আগস্ট ২০১৭, ২০:৩৬ | কুড়িগ্রাম,রংপুর বিভাগ,রাজনীতি | null | পাকিস্তানেও রায় মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1303161 | বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে সরকার। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মতো একটি সন্ত্রাসকবলিত দেশ, সেখানেও কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।আজ শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর সিতাইঝাড় মাদ্রাসা মাঠে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় রিজভী এসব কথা বলেন।রিজভী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রী ও দলের নেতারা প্রধান বিচারপতিকে গালাগালি করছেন। পৃথিবীর সভ্য কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের নজির নেই। কেউ অসন্তুষ্ট থাকলেও আদালতের রায় মেনে নিতে হয়। যাঁরা সর্বোচ্চ আদালতের রায় মানেন, তাঁরাই সভ্য। কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগ) সভ্যতার আলোকবর্তিকা হতে চায় না। অন্ধকারকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায় বলেই আজ সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও প্রধান বিচারপতিকে তারা আক্রমণ করছে।রিজভী অভিযোগ করেন, এনবিআর-বাংলাদেশ ব্যাংককে দিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। যাতে প্রধান বিচারপতি তাঁর জায়গা থেকে সরে আসেন এবং রায় পরিবর্তন করেন। তবে মানুষ বিশ্বাস করে চাপের মুখেও প্রধান বিচারপতি অটল থাকবেন।ত্রাণ বিতরণের সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। | 334,969 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ২৭ আগস্ট ২০১৩, ১৯:৫১ | ২৭ আগস্ট ২০১৩, ১৯:৫২ | ভারত | 0 | কংগ্রেস নেতার এক দিনের কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/international/article/42477 | ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটূক্তি করায় কংগ্রেসের নেতা ও সাবেক বিধায়ক অরুণাভ ঘোষকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে রাজ্য বিধানসভা।গত ৯ জুলাই কলকাতার একটি টিভি চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে ওই কটূক্তি করেছিলেন অরুণাভ। এর জের ধরে আজ মঙ্গলবার তাঁকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে রাজ্য বিধানসভা।এর আগে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য অরুণাভকে বিধানসভায় শাস্তি দেওয়ার দাবি তোলেন সরকারি দলের চিফ হুইপ শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। পরে বিধানসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি তাঁকে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করে।আজ অরুণাভকে বিধানসভায় ডেকে পাঠানো হয়। বিচারের জন্য তাঁকে তোলা হয় বিধানসভায় তৈরি বিশেষ কাঠগড়ায়। তারপর শোনানো হয় রায়। পরে তাঁকে দোতলায় তৈরি বিশেষ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি চাইলেও তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ ঘটনার পর কংগ্রেসের বিধায়কেরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।এদিকে অরুণাভ জানান, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করবেন। | 12,074 |
প্রথম আলো ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০ জুলাই ২০১৩, ০২:১৫ | ১০ জুলাই ২০১৩, ০২:২৯ | উদ্ভাবন,জীবনধারা | 0 | সবচেয়ে উদ্ভাবনশীল দেশ সুইজারল্যান্ড | http://www.prothom-alo.com/technology/article/21746 | বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনশীল দেশ সুইজারল্যান্ড। এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পঞ্চম। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (জিআইআই) প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত সোমবার বার্ষিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জিআইআই প্রতিবছর বিশ্বের প্রতিটি দেশের উদ্ভাবনী সক্ষমতার ওপরে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। এই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী, সেটা নির্দেশ করে এবং সেই বিবেচনায় দেশটিকে তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। এ বছর প্রকাশিত তালিকায় ‘উচ্চ আয়ের অর্থনীতি’ বিভাগে ৪৫টি দেশ রয়েছে।প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের করনেল ইউনিভার্সিটির জনসন স্কুল, আইএনএসইএডি বিজনেস স্কুল, ওয়ার্ল্ড ইন্টালেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন।তালিকায় ১৪২টি দেশের মধ্যে প্রথম পাঁচটি যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর এই তালিকার ১০তম অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসাবে এ বছর দেশটি পাঁচ ধাপ এগিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। এ ছাড়া হংকং, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক ও আয়ারল্যান্ড রয়েছে সেরা ১০টি দেশের তালিকায়। মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, কাজাখস্তান ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান যথাক্রমে ৬৬, ৮৪ ও ৯৮। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০। জিআইআই প্রতিটি দেশকে সাতটি বিষয়ের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে থাকে। এগুলো হলো প্রতিষ্ঠান, মূলধন ও গবেষণা, অবকাঠামো, বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্ঞানের পরিধি ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ। এই বিষয়গুলোর মধ্যে কয়েকটির আবার অনেকগুলো উপশ্রেণী রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, ১৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী নাগরিকদের উইকিপিডিয়ায় মাসিক সম্পাদন ও ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পরিমাণ ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সক্ষমতা ও দুর্বলতাকে ইঙ্গিত করে। টেকনিউজডেইলি।বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক ২০১৩ সূচকের মানদণ্ড: সাতটি বিষয়ের ওপর মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হলো প্রতিষ্ঠান, মূলধন ও গবেষণা, অবকাঠামো, বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্ঞানের পরিধি ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ।শীর্ষস্থানীয় দেশ:তালিকায় ১৪২টি দেশের মধ্যে প্রথম পাঁচটি যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র।মধ্য ও দ. এশিয়া: ভারত, কাজাখস্তান ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান যথাক্রমে ৬৬, ৮৪ ও ৯৮। আর বাংলাদেশ ১৩০। | 1,613 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৩:২৬ | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৪:০৩ | বলিউড | 0 | ফেরার আগেই ঝড় তুললেন সঞ্জয় | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1287541 | গল্প বাবা আর মেয়ের। মেয়েকে হাজার প্রতিকূলতা থেকে বাঁচানোর প্রয়াস বাবার। এমন একটি গল্পের বাবা সঞ্জয় দত্ত। আর তাঁর মেয়ে অদিতি রাও হায়দারি। এই গল্পের ছবির নাম ‘ভূমি’। পাঁচ বছর কারাভোগের পর বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত ফিরছেন ‘ভূমি’ ছবিটি দিয়ে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে উমং কুমার পরিচালিত এই ছবি। আর ১১ আগস্ট প্রকাশ পেয়েছে ছবির ট্রেলার। প্রকাশ পাওয়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টায় কেবল ইউটিউব ও ফেসবুকে দেখা হয়েছে ৮০ লাখের বেশিবার। আজ ইউটিউবে গিয়ে দেখা গেল, শুধু সেখানকার ভিডিওটিই ৮৮ লাখবারের বেশি দেখা হয়েছে।টুইট করে সবাইকে তাই ধন্যবাদ জানালেন উমং, ‘ধন্যবাদ সবাইকে, ভূমির ট্রেলারটি ৮০ লাখের বেশি ভালোবাসার জন্য।’ছবির ট্রেলার মন জিতে নেওয়ার মতো। বাবা-মেয়ের পবিত্র আবেগময় এক সম্পর্ক, মেয়ের সম্মানের জন্য বাবার পৃথিবীর বিরুদ্ধে নেমে যাওয়ার সাহসের অসাধারণ এক গল্প। সেই আঁচ পাওয়া গেছে ছবির ট্রেলার। এই ছবিতে সঞ্জয়কে একই সঙ্গে আবেগপ্রবণ আবার বিদ্রোহী দুই ভূমিকায় দেখা যাবে। সঞ্জয় আবার মন জিতে নেবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।সঞ্জয় মনে করেন, তাঁর চলচ্চিত্রে ফিরে আসার জন্য ‘ভূমি’ ছবিটি উপযুক্ত। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটা ছবির গল্প খুঁজছিলাম, যা আমার পর্দার চেনা ব্যক্তিত্বকে ছাড়িয়ে যায়। আমি এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম, যা সমালোচনার যোগ্য অথচ শক্তিশালী।’২০১৪ সালে সর্বশেষ সঞ্জয়কে বড় পর্দায় দেখা যায়। আমির খানের পিকেতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি ছিল ছোট। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেল থেকে মুক্তি পান সঞ্জয়। | 332,437 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০২ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৬ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/750283 | মেনটস বাত্তি জ্বালাওআশীফ এন্তাজ রবি ও রাজীব হাসানের সঙ্গেরাত ১১টা ২০টাথেকে ২টাস্পিডব্রেকার: গ্রামীণফোন লাউঞ্জসন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট থেকে ৭টা ৫০ মিনিট | 195,877 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ জুলাই ২০১৭, ১৮:২৬ | ১৩ জুলাই ২০১৭, ২১:১০ | -1 | 0 | বিচারপতি আনোয়ারুল হক আর নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1250656 | মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, কাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা হবে। পরে জুরাইন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। তিনি জানান, আনোয়ারুল হক ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। ৫ জুলাই সিঙ্গাপুর ক্যানসার হাসপাতাল থেকে তাঁকে দেশে আনা হয়। এরপর তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল।বিচারপতি আনোয়ারুল হক ১৯৫৬ সালের ১ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।১৯৮১ সালে ১ ডিসেম্বর তিনি মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালের ১৩ জুলাই জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে তিনি পদোন্নতি পান। ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের (চলতি দায়িত্ব) সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর আনোয়ারুল হক হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ওই বছরের ২৫ মার্চ তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য নিযুক্ত হন। পুনর্গঠনের পর ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এর আগে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। | 325,947 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৩ | ১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০২:৩৩ | সরকার | null | ৩৪তম বিসিএসের নিয়োগ শিগগির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/833989 | দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। শিগগিরই তাঁদের নিয়োগের গেজেট জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁদের জন্য সুখবর হলো, যোগ দিয়েই তাঁরা একটি বার্ষিক বেতন প্রবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) পাবেন।সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব প্রথম শ্রেণির চাকরির শুরুতে বেতন হবে নবম গ্রেডে। তবে ক্যাডার কর্মকর্তা এবং প্রথম শ্রেণিতে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্তদের একটি বার্ষিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে বেতন নির্ধারণ করা হবে।৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা কবে নিয়োগ পাবেন, জানতে চাইলে জনপ্রশাসনসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁরা আশা করছেন মাস খানেকের মধ্যেই নিয়োগের গেজেট জারি হবে।’গত ২৯ আগস্ট ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। পরে সংখ্যাটি কিছু বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৭৫। পিএসসি থেকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়োগের সুপারিশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যায়। এরপর থেকে নিয়োগের জন্য শুধু অপেক্ষাই করে যাচ্ছেন উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। সাম্প্রতিক সময়ে বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশের পর নিয়োগ পেতে এটাই লম্বা অপেক্ষা। | 221,540 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৭:১০ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৭:১২ | আইন ও বিচার | 0 | চাঁদাবাজির মামলায় কোতোয়ালি থানার এসআইয়ের রিমান্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/742555 | চাঁদাবাজির মামলায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আমিন খানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেন।এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী গোলাম কবির ওই এসআইকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদনে বলা হয়, কোতোয়ালি থানায় কর্মরত (সাময়িক বরখাস্ত) নুরুল আমিন খান গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে জামিনে রয়েছেন। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি এবং ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী বিমল চন্দ্র আইচকে অন্যায় লাভের উদ্দেশে বেআইনিভাবে আটক করেন এসআই নুরুল আমিন খান। তিনি খুন ও জখমের ভয় দেখান এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন চালান। তিনি অপর সহযোগী আসামিসহ বাদীকে দিয়ে জোরপূর্বক এসএ পরিবহনের মাধ্যমে নগদ ১৪ লাখ টাকা আনিয়ে তা গ্রহণ করে নিজের কাছে রাখেন। প্রধান আসামির নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীকে আটক রেখে বাদীর মাইক্রোবাস নিয়ে যান এবং বাদীর কাছ থেকে মাইক্রোবাস বিক্রি বাবদ ২০ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করে জোরপূর্বক নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেন। আসামির কাছ থেকে বাদীর কাছ নেওয়া চাঁদা বাবদ ১৪ লাখ টাকা ও জোরপূর্বক নেওয়া নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প তার কাছে রয়েছে।আজকের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি সরকারি চাকরি করার সুবাদে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করে এমন জঘন্য অপরাধ করেছেন। আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঁদা হিসেবে নেওয়া টাকা, লুণ্ঠিত মালামাল ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তাই ঘটনা তদন্তের স্বার্থে জামিন বাতিল করে তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন বাতিল করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।চাঁদাবাজির ঘটনায় রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় বিমল চন্দ্র আইচ এ আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ১ জানুয়ারি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ মামলার অপর আসামি শামীম খান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। | 192,965 |
এম আর আলম, সৈয়দপুর (নীলফামারী) | economy | অর্থনীতি | ২৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৭ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৮ | বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ | 0 | অর্থ ও লোকবলের সংকটে ইঞ্জিন মেরামত কমেছে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/435067 | কম অর্থ বরাদ্দ আর লোকবলের সংকটে পড়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা)। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী ডিজেলচালিত রেলওয়ের লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন সংস্কার করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।এতে ইঞ্জিনের সংকটে পড়ে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।কেলোকাতে চলতি অর্থবছরে ২৪টি ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গত জুলাই থেকে চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে মেরামত হয়েছে মাত্র ১০টি। আগামী জুন পর্যন্ত বড়জোর আর সাতটি ইঞ্জিন মেরামত করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গত ২০১৩-১৪ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে মেরামত হয়েছিল ১৬টি করে ইঞ্জিন। আর ২০১১-১২ অর্থবছরে মেরামত হয় ২৮টি।সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে ২৬৪টি লোকোমোটিভ আছে। ১৫ হাজার অশ্বশক্তির এসব ইঞ্জিন প্রতি ছয় বছরে একবার মেরামত বা পিরিয়ডিক্যাল ওভারহোলিং করা প্রয়োজন। তবে কেলোকার সক্ষমতা কমতে থাকায় ১০ বছর ধরে ১০৬টি ইঞ্জিন কোনো ধরনের মেরামতই করা হয়নি।জানা যায়, ইঞ্জিন মেরামতের কাজে ব্যবহৃত ৯৯ শতাংশ যন্ত্রাংশই আমদানি করে করতে হয়। এ ছাড়া প্রতিটি লোকোমোটিভে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যন্ত্রটির (ট্রাকশন) সংকট আছে কেলোকাতে। গত ২০১১-১২ অর্থবছরে কেলোকা ৭২টি নতুন ট্রাকশন কিনতে চাহিদাপত্র দিলেও আজ পর্যন্ত একটিও পাওয়া যায়নি।কর্মকর্তারা জানান, কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন বজায় রাখতে বছরে কমপক্ষে ৭২ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন। সেখানে চলতি অর্থবছরে পাওয়া গেছে মাত্র ২০ কোটি টাকা। আর ৬৮১ পদের বিপরীতে কর্মী আছেন ৪৪১ জন। তার মানে, ২৪০টি পদই বর্তমানে শূন্য।জানতে চাইলে কেলোকার প্রধান নির্বাহী (সিএক্স) মৃণাল কান্তি বণিক প্রথম আলোকে বলেন, কম বাজেট বরাদ্দ, লোকবলের সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পেতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। তিনি জানান, গত অর্থবছরে বরাদ্দের চার কোটি টাকা রেল ভবনে ফেরত গেছে।কেলোকার ট্রেড ইউনিয়ন নেতা শুভ্র কান্তি রায় বলেন, রেলওয়ের ক্রয় ব্যবস্থাপনা আধুনিক নয়। কোনো যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হলে জানাতে হয় চট্টগ্রামের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়কে। সেখান থেকে যন্ত্রাংশ পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। এ ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হলে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা যাবে। সেই সঙ্গে বাজেট বাড়াতে হবে।পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) আবদুল মতিন চৌধুরী জানান, কেলোকার উৎপাদন হ্রাস রেলওয়ের জন্য সুখকর নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। | 110,381 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৩ মে ২০১৮, ১৭:৫৩ | ২৩ মে ২০১৮, ১৭:৫৬ | চলচ্চিত্র | null | ৮ জুলাই শিল্পীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1494771 | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের এবারের আসরে যাঁরা বিজয়ী হয়েছেন, শিগগিরই জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাঁদের সবার হাতে পুরস্কারের ট্রফি তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এমনটাই জানানো হয়। এবার আসরে যাঁরা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন, অবশেষে তাঁদের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। আগামী ৮ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র) শাহিন আরা বেগম।এ বছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’-এর বিজয়ীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন চলচ্চিত্রের গুণী অভিনয়শিল্পী ফারুক ও ববিতা। কানাডায় ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আগামী ২২ জুন তিন মাসের জন্য ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। তাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। আজ দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল, শেষ পর্যন্ত ইচ্ছে পূরণ করতে পারব মনে হচ্ছে। কনফিউজড ছিলাম, কোন দিন পুরস্কার দেওয়া হবে, তা কোনোভাবেই জানতে পারছিলাম না। কানাডা যাওয়ার টিকিটের তারিখটা পরিবর্তন করতে হবে। দেশের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা, তা-ও আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে তুলে দেবেন, মুহূর্তটা মিস করতে চাইনি।’ ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’ ছবি সাতটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে। ছবিটি সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা চিত্রগ্রাহকসহ মোট সাতটি পুরস্কার পাচ্ছে। পুরস্কার অর্জনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নাদের চৌধুরী পরিচালিত ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবিটি। সেরা গীতিকার, সেরা সুরকার ও সেরা সংগীত পরিচালকসহ চারটি পুরস্কার জিতেছে এই ছবি। এবারের আসরে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’। সেরা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ছবিটি সেরা কাহিনিকার এবং সেরা খল অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেয়। গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’ পেয়েছে তিনটি পুরস্কার।সরকার এ বছর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে অবদানের জন্য ২৬টি বিভাগে ২৯ জন ব্যক্তিকে পুরস্কার দিচ্ছে। প্রামাণ্যচিত্রের জন্য পুরস্কার পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড। | 364,800 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৫৫ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৩৩ | -1 | null | ঈদের পর ট্রাফিক ব্যবস্থায় আরও পরিবর্তন: ডিএমপি কমিশনার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1554386 | ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন ঈদের পর আরও হবে। আজ সোমবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতের নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় এসেছে পরিবর্তন। ইতিবাচক পরিবর্তন। আশা করছি, ঈদের পর এই পরিবর্তন আরও দৃশ্যমান হবে।’ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের এক সভায় ‘ঢাকা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে শহরে চলাচলের সময় গাড়ির মূল দরজা বন্ধ রাখা, অটোসিগন্যাল ও রিমোট কনট্রোলড অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগন্যালিং পদ্ধতি চালু করার মতো বিষয়গুলো। ১৬ আগস্ট এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। সভায় নিরাপদ সড়ক ও মহাসড়কের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চলমান কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়। সুপারিশে পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে বলা হয়, ঢাকা শহরে সব গণপরিবহন, বিশেষত বাস চলাচলের সময় গাড়ির মূল দরজা বন্ধ রাখা এবং বাস স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা নিশ্চিত করতে হবে। গণপরিবহনে (বিশেষ করে বাস) দৃশ্যমান দুটি স্থানে চালক ও সহকারীর ছবিসহ নাম এবং চালকের লাইসেন্স নম্বর, মোবাইল নম্বর প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা; সব মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীকে (সর্বোচ্চ দুজন আরোহী) বাধ্যতামূলক হেলমেট পরতে হবে এবং সিগন্যালসহ ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করতে হবে। পরিবহন ব্যবস্থাপনার এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিআরটিএ ও ঢাকা মহানগর পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।ঈদের সময় রাজধানীতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদগাহ ময়দানে আসার সময় বাইরের গেটে, প্রধান গেটে ও ভেতরে চেকপোস্ট থাকবে। তল্লাশিকালে লম্বা লাইন পড়তে পারে। নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতার জন্য মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহ ময়দানে ব্যাগ, ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা আনা যাবে না। মুসল্লিরা জায়নামাজ আর বৃষ্টি হলে ছাতা সঙ্গে আনতে পারবেন। তবে প্রয়োজনে জায়নামাজ ও ছাতাও তল্লাশি করা হতে পারে।আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাবে। বাসাবাড়ি, অফিস, বিপণিবিতানগুলোও ফাঁকা থাকবে। এ সময় মহানগরের নিরাপত্তায় পুলিশি টহল থাকবে। | 374,231 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৩৪ | ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৩৬ | -1 | 0 | আবুল খায়ের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1013315 | ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহিগোবিন্দ গ্রামের অধিবাসী মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের (৬৭) গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। বিকেলে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে আবুল খায়েরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। | 262,035 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুলাই ২০১৩, ০২:৩৫ | ২৮ জুলাই ২০১৩, ০২:৩৭ | অপরাধ | 0 | চাঁদাবাজির কারণে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি অব্যাহতি চাইলেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/31006 | সড়ক-মহাসড়কে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তার চাঁদাবাজির কারণে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন।এ কারণেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত দ্রব্যমূল্য তদারক কমিটির সদস্যপদ এবং এফবিসিসিআইয়ের দ্রব্যমূল্য তদারক কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের এই সহসভাপতি।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহ্মদের কাছে দেওয়া পৃথক দুটি চিঠিতে গতকাল শনিবার হেলাল উদ্দিন এই দুটি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান।চিঠিতে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও মাঠপর্যায়ের চিত্র অনুযায়ী, সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ব্যক্তি, সংগঠন কিংবা অতি উৎসাহী কিছু অসাধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের চাঁদাবাজি ও হয়রানির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও কাঁচা শাকসবজি স্বাভাবিক মূল্যে ভোক্তারা কিনতে পারছেন না। এতে উৎপাদনকারী ও কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর কিছু মধ্যস্বত্বভোগী একে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।হেলাল উদ্দিন বলেন, এবারের রমজান মাসসহ অন্যান্য মাসে ভোগ্যপণ্য ও তরিতরকারি পরিবহনে চাঁদাবাজি কিংবা হয়রানির বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বসহকারে দেখে, সে জন্য এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু পণ্য পরিবহনে ব্যক্তি, সংগঠন ও পুলিশের চাঁদাবাজি কমছে না। এ প্রসঙ্গে গতকাল প্রথম আলোয় ‘পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে পুলিশের চাঁদাবাজি’ ও ‘পথে পথে চাঁদাবাজি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ দুটি এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ ‘পুলিশ সন্ত্রাসী সমানে সমান’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের কথা উল্লেখ করেন তিনি।হেলাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পণ্য পরিবহনে ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এফবিসিসিআই আলোচনা করেছে। কিন্তু আশ্বাস দিয়েও তিনি এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। | 5,695 |
নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫১ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫১ | বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন | 0 | তিনটিতে বিএনপির একক প্রার্থী, ‘বিদ্রোহী’ আ.লীগে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/702229 | সিলেটের তিন পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত চার প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দলীয় প্রার্থিতার দিক বিবেচনায় নিলে বিএনপিতে ‘বিদ্রোহ’মুক্ত অবস্থা থাকলেও আওয়ামী লীগ পড়েছে বিদ্রোহের মুখে।কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ গোলাপগঞ্জে বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ, জকিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জকিগঞ্জ ইউনিট কমান্ডার খলিল উদ্দিন এবং কানাইঘাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও উপজেলা শাখার আহ্বায়ক লুৎফুর রহমানকে মনোনয়ন দেয়। গোলাপগঞ্জে জাকারিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গতকাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল জব্বার চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ওরফে রাবেল।এ বিষয়ে সিরাজুল জব্বার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আমিনুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছি। গত নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলাম। নির্বাচনে অংশ না নিলে আমার সমর্থকেরা হতাশ হয়ে পড়বেন। তাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’জকিগঞ্জ পৌরসভার খলিল উদ্দিন ছাড়াও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদ। ফারুক বলেন, ‘যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি দলীয় রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় নন। তাই দলের তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী ওই প্রার্থীকে মেনে নেয়নি। এ কারণে আমি প্রার্থী হচ্ছি।’ একই অবস্থা কানাইঘাট পৌরসভায়ও। আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফুর রহমান ছাড়াও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম।একক প্রার্থীর দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। গোলাপগঞ্জে পৌর শাখার সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, জকিগঞ্জে পৌর শাখার সাবেক সভাপতি বদরুল হক ওরফে বাদল ও কানাইঘাট পৌর শাখার সহসভাপতি আবদুর রহিম মেয়র পদে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।সিলেট জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক দিলদার হোসেন ওরফে সেলিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আমাদের প্রার্থীদের জন্য কিছুটা সুবিধা তো তৈরি হয়েছেই, তবে সেটা মুখ্য বিষয় নয়। কারণ, মানুষ এখন বিএনপির প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে মুখিয়ে রয়েছে। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ থাকে, তাহলে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয় ঠেকানো সম্ভব কোনোভাবেই হবে না।’এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান গতকাল বলেন, বিদ্রোহী হয়ে যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের ব্যাপারে কেন্দ্র এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 180,288 |
মনোয়ারুল ইসলাম | education | শিক্ষা | ২৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৪ | ২৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৫ | পড়াশোনা | 0 | এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি-২ | http://www.prothom-alo.com/education/article/85207 | Right Form of Verbs প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ ইংরেজি ২য় পত্রের ১ নম্বর প্রশ্ন, অর্থাৎ Right Form of Verbs নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নে মোট ৫টি শূন্যস্থানসংবলিত একটি Passage (with clue/without clue) দেওয়া থাকবে। নম্বর থাকবে ৫। উত্তর লেখার সময় প্যাসেজটি তোলার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু উত্তর লিখলেই চলবে। তোমরা নিজেরা চেষ্টা কর। তারপর উত্তর মিলিয়ে নেবে।# Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tenses. Use the negatives where necessary.Set-5Since the people of Bangladesh do not possess knowledge of health and (a) — much health care, malnutrition (b) — to the sufferings of the people. Most of the children of Bangladesh (c)—deprived of enough calories from the food (d)—by them. Lack of vitamin A (e) — in the eye-sight of many children.Ans. (a) do not take (b) adds (c) are (d) enjoyed (e) reducedSet-6Everyone (a) — success in life but very few can (b) — it. One of the main reasons for his failure is that many people (c) — take risks. We must remember that life (d) — not a bed of roses. It is full of troubles and problems. We (e) — face them with courage.Ans. Try yourselfSet-7One day while I (a) — newspaper sitting in my room, a woman with her little baby in her lap came to me (b) — I could not recognize her first, and she introduced herself and complained against her husband (c) — that she severely (d) — by him. I heard everything and advised her (e) — to the court.Ans. (a) was reading (b) weeping (c) saying (d) had been tortured (e) to goSet-8Robert Frost (a) — any severance of his with nature. Even when the window sash (b) — at night and the tree (c) — from his view he (d) — a shadow outline of the tree which (e) — a more profound influence over him than the rustling of leaves.Ans. Try yourselfSet-9Undeniably, student politics (a) — a heroic role in our history for many years. However, it (b) — just a weapon of fulfilling some people’s self-interests only. It is also common knowledge in the universities that many reluctant students have to (c) — student wings of political parities just for getting a seat in the dormitory. They even (d) — to engage in serious party activities. Tales of brilliant students, careers being (e) — due to contemporary brand of student politics are also common place.Ans. (a) has been playing (b) has become (c) join (d) are forced (e) ruinedসহকারী অধ্যাপক, ঢাকা স্টেট কলেজ, ঢাকাপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | 31,754 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৩২ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৩২ | কুমিল্লা,বিশাল বাংলা,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ | 0 | লাকসামে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/642355 | বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে যুবলীগের এক নেতা নিহত ও অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। গত সোমবার উপজেলার টঙ্গীরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন (৪০)। তিনি কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।উপজেলার টঙ্গীরপাড় ও সালেপুর গ্রামের অন্তত চারজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় সালেপুর গ্রামের বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন ও মো. রনি টঙ্গীরপাড় গ্রামের সেতুর ওপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় টঙ্গীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা নূরনবী তাঁদের কাছে এভাবে মোটরসাইকেল চালানোর কারণ জানতে চান। তখন তাঁদের সঙ্গে নূরনবীর বচসা হয়। একপর্যায়ে নূরনবীকে তাঁরা মারধর করেন। খবর পেয়ে টঙ্গীরপাড় গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে।একই সময়ে সালেপুর গ্রামের বাসিন্দারাও সেখানে জড়ো হয়। এ সময় উভয় পক্ষ কাঠের গুঁড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। | 172,391 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মে ২০১৫, ২২:০০ | ১০ মে ২০১৫, ২২:০৮ | -1 | null | নিম্ন আয়ের নারী ও কিশোরীরা ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হলেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/524299 | উপস্থিত নারী ও কিশোরীরা সবাই হাত তুলে জানালেন তাঁদের নিজস্ব মুঠোফোন আছে। তবে কারও বাড়িতে কম্পিউটার নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সম্পর্কে জানতে চাইতেই এক কিশোরী লজ্জায় লাল হয়ে গেল। সে যে ফেসবুক সম্পর্কে কিছুটা জানে তা জানাতেই তার এই লজ্জা।একজন নারী জানালেন তিনি মুঠোফোনে ফোন আসলে কথা বলতে পারেন এবং কথা শেষে বন্ধ করতে পারেন। উপস্থিত নারীদের বেশির ভাগই মুঠোফোনে ইংরেজিতে যেসব খুদেবার্তা আসে তার অর্থ বুঝতে পারেন না। তবে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর এই নারীরাই ‘ইন্টারনেট’ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন বলে ইংরেজিতেই ‘ইয়েস’ বললেন।আজ রোববার মায়া এমপাওয়ারিং উইমেন কম ডট বিডি এবং নাহার হেলথ সার্ভিস অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিম্নবিত্ত আয়ের নারী, ব্র্যাকের কর্মসূচির আওতায় আসা কিশোরীদের ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন কোম্পানির প্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবক, ফেসবুকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। নাহার, মায়া, ডিনেট, আপনজন এর সেবাভোগী নারীরাও উপস্থিত ছিলেন।রাজধানীর কাফরুলে বেসরকারি সংস্থা নাহারের কার্যালয়ে অনেক নারী তাঁদের ছোট ছোট সন্তান কোলে নিয়েই হাজির হন। উপস্থিত নারী ও কিশোরীদের বিনা মূল্যে রবির সিম দেওয়া হয়। এ সিম ব্যবহার করে কীভাবে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন তাও শিক্ষা দেওয়া হয়। আর ইন্টারনেটের স্বাস্থ্যকথা থেকে শুরু করে সব তথ্যই এই নারী ও কিশোরীরা পাবেন বাংলায়।মায়ার হেড অব কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস শাহানা সিদ্দিকী উপস্থিতদের কাছে মুঠোফোনের মেনু কাকে বলে, ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ঢুকতে হলে কোথায় যেতে হবে, ঢুকতে পারলে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, কেনো ইন্টারনেটসেবা হাতের মুঠোয় থাকা প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করেন।শাহানা সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের নারীদের হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট না থাকার কারণেই অন্য দেশের নারীদের তুলনায় পিছিয়ে আছে। তিনি আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে মুঠোফোনের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার মাধ্যম মামা সার্ভিস, মায়া সার্ভিসসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে কি ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে তাও ব্যাখ্যা করেন। তবে এই সেবা পাওয়ার জন্য সবার কাছে একটি করে রবি সিম থাকতে হবে সে বাধ্যবাধকতার কথাও জানিয়ে দিলেন।উপস্থিত নারী ও কিশোরীরা একদম শেষ পর্যায়ে এসে সমস্বরে স্লোগান দিলেন-‘বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হই, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হই, ইন্টারনেট ডট ওআরজি।’ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের প্রতিনিধি দীপ্তি দৌসি নারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভালো মা হওয়া সম্ভব। একই ভাবে সমাজগঠনেও ব্যাপক ভূমিকা রাখা সম্ভব। তিনি রবি সিম ব্যবহার করে নিজেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করার পাশাপাশি অন্যদেরও উৎসাহিত করার জন্য আহ্বান জানান।দীপ্তি দৌসির বক্তব্য বাংলায় অনুবাদ করে শোনান ব্র্যাকের উপ ব্যবস্থাপক (কমিউনিকেশন) আনিকা নূর। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য দেন নাহার হেলথ সার্ভিস অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পারভীন ওয়াহিদ। | 137,610 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:১০ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:১২ | সরকার | 0 | বাড়তি অর্থ যাতে না নিতে পারে সতর্ক থাকো | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/630166 | বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্য সংযোজন করের (মূসক) কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন টিউশন ফি বা অন্য কোনো নামে বাড়তি অর্থ নিতে না পারে, সে জন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।অর্থমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, ‘নতুন রাস্তাঘাট আমরা আর করছি না। বিদ্যমান সড়কের মান ভালো করছি।স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের বেশি খরচ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া আরও অনেক খাত থেকে আমাদের ওপর হুকুম আসছে, সে খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। সেই টাকাটা কোথা থেকে আসবে? সেটার জন্য রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। আর রাজস্ব বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁচা দিতে হয়। তেমনই একটি হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ।’রাজধানীর বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে গতকাল শনিবার দুপুরে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশ’-এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। ব্র্যাক ও এটিএন বাংলার সহযোগিতায় এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে ফি নেয়, তা খুবই হাই (বেশি)। আমি হিসাব করে দেখেছি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর প্রতিদিন খরচ হয় এক হাজার টাকা। এটা তার ফি, বইয়ের খরচ, খাওয়াদাওয়াসহ। আমি সেখান থেকে কত চেয়েছি? মাত্র ৭৫ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমি বলেছি যে এই সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট, যেটা টিউশন ফি আদায় হচ্ছে সেখান থেকে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের বলছি, তোমরা যদি নজর না দাও, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফিস-টিস, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ইত্যাদি ইত্যাদি করে সেখান থেকে আবার তোমাদের কাছ থেকে এই অর্থ তুলে নেবে। সে জন্য তোমরা আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নাও, যাতে তোমাদের ফিস এই সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের জন্য আবার না বাড়ে।’অর্থমন্ত্রী বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, ‘যা কিছু আমার সামনে আসে, তা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করি। এটা আমার চরিত্রগত দোষ। নানা ধরনের মন্তব্য করি। এর মধ্যে আবার কিছু ভুলও হয়ে যায়। সেসব বক্তব্য আবার তুলেও নিতে হয়। সমাজজীবনে এটা চলবেই।’অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভ্যাটের জন্য আন্দোলন করছেন, রাস্তা অবরোধ করছেন। আপনারা যে আন্দোলন করছেন, আমি যদি তার নেতা হতাম, তাহলে বলতাম যে আমি ভ্যাট দেব। কিন্তু এ জন্য একটি ট্রাস্ট করতে হবে। ট্রাস্টের নাম হবে রিসার্চ ট্রাস্ট ফান্ড। আমি যত পরিমাণ ভ্যাট দেব, সমপরিমাণ টাকা সরকারও ওই ট্রাস্টে দেবে। ওই অর্থ গবেষণায় খরচ হবে। তাহলে অনেক মানসম্পন্ন গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে আসবে।’অনুষ্ঠানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান সুদের হার কমাতে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, সুদের হার সরকার ঠিক করে না, ব্যবসায়ীরাই ঠিক করেন। ব্যবসায়ীরা যদি সুদের হার কমান, তাহলে সরকারও সঞ্চয়পত্রের সুদের হার আরও কমিয়ে দেবে।অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ মুসা, শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক শফিকুল ইসলাম, এটিএন বাংলার উপদেষ্টা নওয়াজেশ আলী খান ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির সভাপতি হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন উপস্থিত ছিলেন।এর আগে বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মুন্সিগঞ্জের বজ্রযোগিনী জে কে উচ্চবিদ্যালয় এবং নাটোরের আগ্রাণ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিযোগিতায় বজ্রযোগিনী বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।আয়োজকেরা জানান, দুই হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থী এবারের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ নিয়ে তিনবার এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। | 168,414 |
-1 | sports | খেলা | ১৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৬ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৭ | খেলা | 0 | উদ্যাপন | http://www.prothom-alo.com/sports/article/422749 | সেলফি তো অনেকেই তোলেন, তাই বলে গোল করে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে? পরশু লাৎসিওর সঙ্গে সমতাসূচক গোলের পর ফ্রান্সেসকো টট্টি রোমার সমর্থকদের সঙ্গে সেলফি তুললেন এভাবেই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে গোলের পর সাউদাম্পটনের দুসান তাদিচের (ডানে) উদ্যাপনটা অবশ্য একজনের অনুকরণ। হাল্কের মতো উদ্যাপন করে তাদিচ যেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেই মনে করিয়ে দিলেন!এএফপি, মেইল অনলাইন | 106,279 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৫৬ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৫৭ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ | 0 | গোপন ইজারায় তুরাগ ভরাট! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/717319 | চার মাসের ব্যবধানে তুরাগ নদে দখলের ধরন বদলে গেছে। মাঝখানে খালি কোনো জায়গা নেই, ভরাট হয়েছে ধারাবাহিকভাবে। তুরাগতীরের সিন্নিরটেক থেকে আশুলিয়া এলাকায় এমন দখলযজ্ঞ দেখা গেছে গতকাল শুক্রবার। এগুলো গোপন ইজারায় ভরাট হচ্ছে বলে জানা গেছে।গত আগস্ট মাসে এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছিল, ওই এলাকায় অন্তত ৫০০ গজ অংশ খালি রেখে ভরাটকাজ চলছে। ভরাট অংশ ছিল ৫০টির মতো। গতকাল দেখা গেছে, ভরাট অংশগুলো একটার সঙ্গে একটা মিশে গেছে।মিরপুর মাজার রোড পেরিয়ে গাবতলী থেকে বাঁক নিয়ে সিন্নিরটেকে যাওয়ার পথে দেখা গেল ১০টির মতো এক্সকাভেটর। ভরাট অংশ সমতল করার কাজে সেগুলো নিয়োজিত। দেখে মনে হচ্ছিল কোনো সরকারি উন্নয়নকাজ চলছে।গতকাল সকালে ভরাটকাজ দেখভাল করছিলেন আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে নিচু জমি ভরাট করা হয়েছে। তার ‘স্যার’ জায়গা ইজারা পেয়েছেন। স্যারের নাম জানতে চাইলে তিনি তা বলেননি। যাঁরা এক্সকাভেটর চালাচ্ছিলেন, তাঁদের দুজনকে প্রশ্ন করলে তাঁরা বলেন, এখানে ভাড়ায় খাটতে এসেছেন।পরে স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিন্নিরটেক থেকে বিরোলিয়া, আশুলিয়া হয়ে টঙ্গী পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে প্রায় আড়াই শ ফুট অংশ পাউবোর অধিগ্রহণ করা। পাউবোর গোরান চটবাড়ী পাম্প স্টেশনের তিনজন কর্মকর্তা গোপনে স্থানীয় কিছু লোককে এসব জায়গা ভরাটের মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। ভরাট করা জায়গা আপাতত খালি রাখা হয়েছে। পরে সুবিধামতো এখানে স্থাপনা তৈরি করা হবে।পাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শুধু সিন্নিরটেক বা আশুলিয়ায় নয়, মিলব্যারাক, মিটফোর্ড থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রাস্তার দুধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আড়াই শ ফুট করে জায়গা আছে। অনেক জায়গা বেদখলে। এর মধ্যে কিছু অংশ অবশ্য সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিন্নিরটেক ও আশপাশের এলাকায় পাউবোর কারা জায়গা ইজারা দিয়েছেন, তিনি জানেন না বলে জানান।বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দর কার্যালয় থেকে প্রধান কার্যালয়ে গত সপ্তাহে ৯০টি অবৈধ স্থাপনার একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। গাবতলী থেকে সিন্নিরটেক পর্যন্ত ৫০টি সীমানা খুঁটির মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট একজন বন্দর কর্মকর্তা বলেন, প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় তালিকা অনুসারে অভিযান চালানো হবে।বিরোলিয়া ও আশপাশে ভরাট করা কিছু অংশে বালুর ব্যবসাও চলছে। বিরোলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একজন দোকানি বলেন, মো. ইমরান নামের এক ব্যক্তি আগে থেকেই এখানে নদের জায়গা ভরাট করে বালুর ব্যবসা করছেন। বালু ব্যবসায় জন্য তিনি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অনুমোদন নিয়েছেন বলে এলাকায় প্রচার করছেন। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে আছেন এলাকার কিছু মাস্তান। তাঁদের ভয়ে কেউ কিছু বলে না। গতকাল অবশ্য ছুটির দিন বলে কাউকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বলা হয়, বর্তমানে তুরাগ নদের তীরে বালুর ব্যবসার জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অতীতে যাঁরা বালু, মাটি বা ইটের ব্যবসা করতেন, তাঁদের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। | 184,934 |
সোহরাব হাসান, বরিশাল থেকে ফিরে | opinion | মতামত | ০৯ জুলাই ২০১৮, ২৩:০৮ | ০৯ জুলাই ২০১৮, ২৩:১০ | সোহরাব হাসান,লেখকের কলাম,বরিশাল,বরিশাল বিভাগ | null | ‘বরিশাল হবে সিঙ্গাপুর’ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1529111 | ‘কোন জেলায় রেললাইন নেই?’স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এ রকম একটি প্রশ্ন থাকত এবং তার অনিবার্য উত্তর হতো ‘বরিশাল’। বৃহত্তর বরিশাল মানে দক্ষিণাঞ্চলের এখনকার ছয়টি জেলা: বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ভোলা। আশার কথা, সেই বরিশালে আজ রেললাইন স্থাপনের তোড়জোড় চলছে। পদ্মা সেতু চালু হলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যে রেললাইন আছে, সেটি প্রথমে যাবে বরিশাল পর্যন্ত। এরপর বরিশাল থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর তক সেটি সম্প্রসারিত হবে। খুলনা থেকে মোংলা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত আরেকটি রেললাইন চালুরও পরিকল্পনা আছে সরকারের। সে ক্ষেত্রে দুটি সমুদ্রবন্দরই রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। আর এর থেকে বরিশালের দূরত্ব এক শ কিলোমিটারেরও কম।ঢাকা থেকে মাওয়া ফেরিঘাট পার হলেই দেখা যায় উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। চার লেন সড়ক হচ্ছে। নতুন রেললাইনের কাজ চলছে। ঢাকা থেকে বরিশালের দূরত্ব ২৪৫ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু হলে সাড়ে চার ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে। এখন লাগে আট থেকে দশ ঘণ্টা।প্রথম আলোর বরিশাল ব্যুরোপ্রধান এম জসীম উদ্দিন সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন খুবই ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। বললাম, বরিশালের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে জানতে চাই। তিনি স্থানীয় কয়েকজন শিল্পোদ্যোক্তা–ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন। তাঁদের কাছে জানতে চাই, পদ্মা সেতু হলে বরিশালে ব্যবসা–বাণিজ্য কতটা বাড়বে? তাঁদের জবাব, তখন বরিশাল হবে ব্যবসা–বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। শুধু পদ্মা সেতুর কথা বলছেন কেন? পায়রা সমুদ্রবন্দর, রেললাইন, ভারতের সঙ্গে সড়ক ও নৌ–যোগাযোগ বৃদ্ধি—এ সবই বরিশালের অর্থনীতিকে চাঙা করবে। তাঁরা হিসাব দিয়ে বললেন, বরিশালে প্রচুর শস্য উৎপাদিত হয়। নদীতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। বরিশালের ইলিশের সুনাম আছে। পদ্মায় এখন আর ইলিশ তেমন পাওয়া যায় না। মেঘনার ইলিশই দেশের চাহিদা মেটায়। যোগাযোগের ভঙ্গুরতার কারণে বরিশালের শিল্পোদ্যোক্তারা ঢাকা ও এর আশপাশে গিয়ে তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছেন। পদ্মা সেতু চালু হলে তাঁরাও এখানে ফিরে আসবেন। এখানে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। কেন তাঁরা এখানে আসবেন? ব্যবসায়ীদের যুক্তি হলো, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য যেতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। বরিশাল থেকে পায়রা ও মোংলা যেতে লাগবে ২ ঘণ্টা। পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে।বর্তমানে বরিশালে কয়েকটি ওষুধ, সিমেন্ট কারখানার বাইরে বড় কোনো শিল্প নেই। ১৩৩ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিসিক নগরীতে ফরচুন নামে একটি বড় জুতার কারখানা থাকলেও এর বেশির ভাগ প্লট খালি পড়ে আছে। তাঁরা বললেন, এই বিসিক নগরীতেই অনেক কারখানা হতে পারে। এ ছাড়া সরকার আগৈলঝাড়ায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু শনিবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে বরিশাল অঞ্চলে আরও শিল্প–কারখানা গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে বললেন, কেউ উদ্যোগ নিলে ব্যাংকঋণসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান জানালেন, এখানে কৃষিপণ্য ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করতে পারলে যেমন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, তেমনি অনেক কর্মসংস্থান হবে। তাঁর প্রত্যাশা, দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না। বরিশাল হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর।এত দিন বরিশালে শিল্প–কারখানা হলো না কেন? তিনি বললেন, বিদ্যুতের সমস্যা ছিল। কিন্তু ভোলায় প্রচুর গ্যাস পাওয়া গেছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরের কাছে কয়লাভিত্তিক থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কাজও চলছে চীনের সহায়তায়। এ ছাড়া সেখানে একটি এলএনজি টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তঁারা আশা করছেন, শিগগিরই ভোলা থেকে গ্যাস আনা যাবে। ভোলার রাজনীতিকেরা এর আগে বলেছিলেন, ভোলার গ্যাস ভোলায়ই থাকবে। সম্প্রতি তাঁরা ভোলার বাইরে গ্যাস দিতে রাজি হয়েছেন। তবে তঁাদের শর্ত বরিশাল ও ভোলার মধ্যে যে নদী আছে, সেখানে সেতু তৈরি করতে হবে। তাতে ভোলা ও বরিশালের মানুষ উপকৃত হবেন। উন্নয়ন তো একতরফা হয় না। ‘দেবে আর নেবে মেলাবে মিলিবে।’ ভোলার গ্যাস শুধু বরিশাল নয়, খুলনাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের চাহিদা মেটাবে বলে আশা করা যায়। গ্যাস–সুবিধা পেলে এবং যোগাযোগ সহজ হলে উদ্যোক্তারা বরিশাল অঞ্চলে কারখানা করতে উৎসাহী হবেন। বর্তমানে এখানকার হাজার হাজার শ্রমিক বরিশালের বাইরে বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন। বরিশাল শিল্পায়িত হলে তাঁরা নিজের জেলায় থেকে কাজ করতে পারবেন।বরিশাল অঞ্চলে আরও যেসব শিল্প–কারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছে বাউফলে একটি রাইস অটোমেশন কারখানা, পাথরঘাটায় জাহাজভাঙা শিল্প।পটুয়াখালীর কুয়াকাটা দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রসৈকত, যেখান থেকে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দুটোই দেখা যায়। কুয়াকাটায় অনেক হোটেল ও মোটেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা সেতু হলে আরও বেশিসংখ্যক পর্যটক আসবেন। তবে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বরিশাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে হবে, যাতে তাঁরা সরাসরি বরিশালে এসে কুয়াকাটা যেতে পারেন। প্রকৃতিগতভাবে পায়রা বন্দর টেকসই নয় বলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন। এ বিষয়ে বরিশালের এক ব্যবসায়ীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এসব গুজব চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ছড়াচ্ছেন। তাঁরা চান পুরো বাংলাদেশের পণ্য একটি বন্দর দিয়ে যাক। কিন্তু তাতে তো বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার যেভাবে বাড়ছে তাতে শুধু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভবিষ্যতে ৮০–৯০ শতাংশ পণ্য খালাস করা সম্ভব হবে না। আমাদের আরও নতুন নতুন বন্দর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গত মে মাস পর্যন্ত পায়রা বন্দর ১০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে। এখন বন্দর উন্নয়নের কাজ চলছে। পুরোদমে চালু হলে আয় অনেক বাড়বে।বরিশালের ব্যবসায়ীরা চান সেখানে একটি ফিশল্যান্ডিং স্টেশন হোক, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য হিজলায় ২ হাজার একর জমি বরাদ্দ রয়েছে। তাঁদের আক্ষেপ বরিশালে বিভাগীয় স্টেডিয়াম না হওয়ায় এবং পাঁচতারা মানের হোটেল না থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হতে পারছে না।ভারতের সঙ্গে নদীপথে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করেন, গাবখান সুয়েজ ক্যানেলের ভূমিকা পালন করতে পারে। অতীতে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে এই গাবখানই ছিল নৌ–যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। নদীগুলো যাতে ভরাট না হয়ে যায়, ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রয়োজন। কম খরচে এর সহনীয় পরিবেশে পণ্য পরিবহন করা যাবে।বরিশালের ব্র্যান্ডিংএকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলাকে সরকার আলাদাভাবে ব্র্যান্ডিং করার উদ্যোগ নিয়েছে। বরিশালের ব্র্যান্ডিং হচ্ছে ইলিশ, আমড়া, দই, পান-সুপারি। জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা হলো সাংবাদিকদের এক কর্মশালায়। তাঁর সঙ্গে পরিচয় দীর্ঘদিনের। সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যটি মনে রাখার মতো। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা হলেন সাবানের মতো। চোখে লাগলে জ্বলে। আবার শরীর পরিষ্কার করতে সাবান লাগবেই।’ আমাদের রাজনীতিকেরাও যদি এমন করে সাবানের গুরুত্ব বুঝতেন!সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবিsohrabhassan55@gmail.com | 369,778 |
সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০১:০৭ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০১:০৮ | সিরাজগঞ্জ,বিশাল বাংলা | 0 | পরিচয় মিলল বস্তাবন্দী তিন লাশের, গ্রেপ্তার ৩ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/933808 | সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা নদী থেকে গত সোমবার উদ্ধার হওয়া তিন লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন গাজীপুরের শ্রীপুরের টেংরা গ্রামের বাদল মণ্ডলের স্ত্রী নাসরিন মণ্ডল (৩০), হাদিকুলের স্ত্রী ও নাসরিনের ফুফু মেহেরুন নেসা (৫২) ও মেহেরুনের পালিত নাতনি জাইমতি (৪)।পুলিশ বলছে, ওই তিনজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চালার আল আমিন (৩২), রায়গঞ্জ উপজেলার নয়ন (২০) ও প্রাইভেটকারের চালক জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পবাহার লোহাপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম (২২)। প্রাইভেটকারসহ গতকাল সকাল সাতটার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আল আমিন গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার একটি বস্ত্রালয়ের ম্যানেজার ও নয়ন সেই দোকানের কর্মচারী। রবিউল হলেন দোকানের মালিক মো. মনির হোসেন ওরফে মিজানুর রহমানের প্রাইভেটকারের চালক।গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, নাসরিনের সঙ্গে আল আমিনের সম্পর্ক ছিল। গত ৩০ জুলাই দুপুরে নাসরিনকে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ির ওই বস্ত্রালয়ে ডেকে আনেন আল আমিন। পরে তাঁকে দোকানের পাশের গুদামে নিয়ে যান তিনি। সেখানে নয়ন ও রবিউলের সহায়তায় নাসরিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আল আমিন। পরে একইভাবে নাসরিনের ফুফু মেহেরুন নেসা ও তাঁর নাতনি জাইমতিকেও গুদামে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর আল আমিন বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে যাওয়ার কথা বলে দোকান-মালিকের কাছ থেকে প্রাইভেটকারটি নেন। ঘটনার রাতে লাশগুলো বস্তাবন্দী করে গাড়ির পেছনে ভরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় খাজা খানজাহান আলী মেডিকেল কলেজের পাশে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।শ্রীপুরের তেলিহাটী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সফিকুল ইসলাম ও বাদল মণ্ডলের ভগ্নিপতি মনিরুজ্জামান বলেন, ৩০ জুলাই বেলা ১১টার দিকে জাইমতিকে চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে শিশুসহ নাসরিন ও মেহেরুন বাড়ি থেকে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার উদ্দেশে রওনা হন। ওই দিন বেলা দুইটার দিকে নাসরিনের সঙ্গে স্বামী বাদল মণ্ডলের সর্বশেষ কথা হয়। এরপর বাড়ি না ফেরায় বিকেল পাঁচটার দিকে নাসরিনের মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাঁদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলী জিন্নাহ বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল সকাল সাতটার দিকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, গত সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে যমুনা নদীতে দুটি বস্তা ভাসতে দেখে স্থানীয় ব্যক্তিরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তা দুটি উদ্ধার করে। বস্তা খুলে একটির ভেতর এক শিশু ও এক নারী এবং অন্য বস্তায় আরেক নারীর লাশ পাওয়া যায়। পরে স্বজনেরা সোমবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এনায়েতপুর থানায় মামলা করেছে। | 246,159 |
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ মার্চ ২০১৪, ০১:০০ | ২৮ মার্চ ২০১৪, ০১:০০ | চৌদ্দগ্রাম,কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | চৌদ্দগ্রামে আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/178816 | কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলালের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীদের ছোড়া গুলিতে গোলাম ফারুকের ছোট বোন বিদ্ধ হন। গত বুধবার উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর (ফেরিঘাট) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দিবাগত রাত দুইটায় চারটি মোটরসাইকেলে করে আট থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী হেলালের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ককটেল ফাটিয়ে জানালার কাচ ও উঠানে থাকা ৪০ থেকে ৫০টি চেয়ার ভাঙচুর করে ঘরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে গোলাম ফারুকের ছোট বোন রোকসানা আক্তার (৩৫) আহত হন। তিনি বর্তমানে ফেনীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।পরে এলাকাবাসী ধাওয়া করলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হেলালের পক্ষের লোকজন ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। | 61,630 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৪৫ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৫৭ | আরব বিশ্ব | 0 | সিরিয়ায় গাড়িবোমায় নিহত ৪১ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1088863 | সিরিয়ার আল-বাব শহরের কাছে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত একটি গ্রামে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন।যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ওই গাড়িবোমা বিস্ফোরণে সুসিয়ানে বিদ্রোহীদের একটি নিরাপত্তা চৌকি ধ্বংস হয়েছে। ওই গ্রামটি আল-বাব শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।গতকাল বৃহস্পতিবার আল-বাব শহর থেকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধাদের হটিয়ে দেয় তুরস্ক-সমর্থিত বিদ্রোহীরা। তুরস্ক জানিয়েছে, ওই শহরটি বিদ্রোহীদের ‘প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে।ওই এলাকার সূত্রে বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই গাড়িবোমা হামলায় ৩৫ জন বেসামরিক লোক ও ছয়জন বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তল্লাশি চৌকিকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়। বোমাটি যখন বিস্ফোরিত হয় তখন বেসামরিক লোকেরা আল-বাব শহরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার জন্য সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। | 296,520 |
টিপু সুলতান, থাইল্যান্ড থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ মে ২০১৫, ০২:৩৩ | ২৪ মে ২০১৫, ০২:৩৫ | অপরাধ | null | বিপদ বুঝেও মিয়ানমারের নারী-শিশুরা যাচ্ছে কেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/535984 | আঁরার দেশইত তো কোনো জোয়ান পোলা নাই। সবটি তো পালাইয়ে। আরাকানে অবিবাহিয্যা মাইয়্যা পোলার অনেক বিপদ: লায়লাপ্রায় এক মাস আগে যাত্রা শুরু করেন সালেহা বেগম (৩৫)। সঙ্গে দুই বাচ্চা। স্বামী সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায়। তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য সাগরের বিপৎসংকুল পথে পা বাড়ান মিয়ানমারের এই নারী। এখন ঠাঁই হয়েছে থাইল্যান্ডের অভিবাসন পুলিশের এক ক্যাম্পে।উম্মে হালিমার বয়স ১৬। নৌকায় ওঠে ১৩ বছর বয়সী ছোট বোনকে নিয়ে। তাদেরও গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া, ভাইয়ের কাছে। মিয়ানমারে তিন বছর আগে উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের হামলায় মা-বাবা মারা গেছেন। বাড়িঘর পুড়েছে। ঠাঁই হয়েছে ক্যাম্পে। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে এই দুই বালিকা আরও অনেকের সঙ্গে দালাল চক্রের মাধ্যমে সাগরপথে রওনা হয়। কিন্তু থাইল্যান্ডে কড়াকড়ি আরোপ হওয়ায় দালালেরা উত্তর ফুকেটের তীরে নামিয়ে দিয়ে নৌকা নিয়ে চলে যায়। সেখান থেকে থাই পুলিশ আটক করে।লায়লা বেগমের (২০) ঘটনা ভিন্ন। মামাতো ভাই মালয়েশিয়ায় নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিয়ে করে সংসার পাতবেন—এ স্বপ্ন নিয়ে মামার সঙ্গে সাগরযাত্রায় নামেন। কিন্তু থাই জঙ্গলে এনে দালাল বাড়তি টাকা দাবি করে। টাকা দিতে পারেননি, তাই মামাকে মালয়েশিয়া পৌঁছালেও লায়লাকে আটকে রাখে সংখলার বাদাম বেসারের জঙ্গলে টানা ছয় মাস।সাগরপথে মানব পাচারের সময় যতগুলো চালান আটক হয়েছে, সব কটিতেই পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশু পাওয়া গেছে। পুরুষদের বিষয় মোটামুটি পরিষ্কার, তাদের কেউ বেকারত্ব ঘোচাতে স্বেচ্ছায় কিংবা ভালো রোজগার করার প্রলোভনে ও প্রতারিত হয়ে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েছে। কিন্তু নারী-শিশুরা কেন এভাবে দেশান্তরি হচ্ছে?এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, এদের কারও স্বামী, কারও বাবা, কারও ভাই থাকেন মালয়েশিয়ায়। নিজের দেশে নির্যাতিত হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এঁরা দেশ ছেড়েছিলেন। মালয়েশিয়া গিয়ে শ্রম বিক্রি করে টাকা জমিয়েছেন, এখন স্বজনদের নিজের কাছে নিতে চান। আবার অনেক নারী-শিশুর বাবা-মা-স্বামী ২০১২ সালে রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ উগ্রপন্থীদের হামলায় মারা গেছেন, বাস্তুহারা হয়েছেন। এরা ঘর ছেড়েছে দালালদের প্রলোভনে পড়ে। মালয়েশিয়া গেলে ভালো বেতনে কাজ মিলবে, উন্নত জীবন পাবে—এমন আশ্বাসে।এ ছাড়া জোর করে তুলে এনে নৌকায় ভরে নিয়ে এসেছে, এমন অভিযোগও করেছে কয়েকজন কিশোর। দুই সপ্তাহ উত্তর ফুকেটের পাঙনার উপকূল থেকে যে ১০৬ জনকে পুলিশ উদ্ধার করে, তাদের মধ্যে অন্তত ১৩ জন ছিল ১০ থেকে ১৫ বছরের বালক। তাদের একজন নাম মোহাম্মদ (১০)। সে বলল, তাকে আরাকানের মংডুর রাস্তা থেকে কিছু লোক ধরে এনে নৌকায় তোলে। সে কাঁদছিল আর বারবার বলছিল, ‘মায়ের কাছে যাব।’উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণতৎপরতা দেখভাল করেন রোহিঙ্গা সোসাইটি ইন থাইল্যান্ডের সদস্য ব্যাংককের ব্যবসায়ী মামুন রশিদ। তিনি অভিযোগ করেন, উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে বা কাজ করতে আসা অনেককে জোর করে পাচারকারীরা নৌকায় তুলে নেয়। এ কাজে মিয়ানমারের নৌবাহিনী ও পুলিশ সহযোগিতা করে।এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বলছে, সাগরপথে পাচারের শিকার নারী-শিশুরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। গত সপ্তাহে হাতজ্জাই পুলিশ স্টেশনে কথা হচ্ছিল লায়লার বেগমের সঙ্গে। মাস খানেক ধরে তিনি এ থানাহাজতে। বাড়ি মিয়ানমারের আরাকানের আকিয়াবে। বাবা রজব আলী মারা গেছেন। মা এবং এক ভাই ও বোন আছেন দেশে।লায়লার মামাতো ভাই মালয়েশিয়ায় কারখানায় কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে করার জন্য লায়লা সাগরপথে দেশ ছাড়েন। সঙ্গে ছিলেন মামা। দুজনকে মালয়েশিয়া পৌঁছানোর জন্য আরাকানের দালাল আইয়াজের সঙ্গে পাঁচ হাজার রিংগিতে চুক্তি করেন লায়লার হবু বর জাফর। ইঞ্জিন নৌকা ছাড়ার পর তাঁরা ১৮ দিনের মাথায় তীরে পৌঁছান। তাঁদের নৌকায় দুই-তিন শ মানুষ ছিল। সবাইকে হাঁটিয়ে, গাড়িতে করে আনা হয় থাইল্যান্ডের জঙ্গলে। সেখানে ক্যাম্পে এনেই দালাল দুজনের জন্য ১০ হাজার রিংগিত দাবি করে। কিন্তু হবু বর জাফর আগের কথা অনুযায়ী, পাঁচ হাজার রিংগিত দেন। এর বিনিময়ে পাচারকারী চক্র শুধু তাঁর বাবাকে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেয়। বাকি টাকার জন্য লায়লাকে আটকে রাখে জঙ্গলের ক্যাম্পে, টানা ছয় মাস। একেক সময় একেক ক্যাম্পে।লায়লা বলেন, মুক্তির আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। ছয় মাস পর একদিন মিয়ানমারের শান প্রদেশ থেকে আনা চার তরুণীর সঙ্গে তাঁকে জঙ্গল থেকে শহরের দিকে সরিয়ে নিচ্ছিল পাচারকারীরা। তাঁরা ছিল একটি টুকটুকে (স্থানীয়ভাবে তৈরি বড় অটোরিকশা)। পথে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। সেটা গত মাসের ২৫ বা ২৬ তারিখে। সে থেকে লায়লা হাতজ্জাই থানাহাজতে।দালালদের ক্যাম্পে কেমন ছিলেন বলতে চাইলেন না লায়লা। ‘এইডা কয়ে কী অইব? খালি খালি মনটা খারাপ অইব।’বিয়ে করার জন্য এত বড় ঝুঁকি নিলেন, দেশে ছেলে নাই? ‘আঁরার দেশইত তো কোনো জোয়ান পোলা নাই। সবটি তো পালাইয়ে। আরাকানে অবিবাহিয্যা মাইয়্যা পোলার অনেক বিপদ। পুলিশ-মিলিটারিও বুরা কাজ (ক্ষতি) করে’, বলছিলেন লায়লা।রোহিঙ্গা সোসাইটি ইন থাইল্যান্ডের নেতারা জানালেন, ২০১২ সালের পর অনেক রোহিঙ্গা মালয়েশিয়া পালিয়েছে। দেশে আত্মীয়স্বজন বিয়ে ঠিক করে। তারপর মেয়েকে এভাবে পাঠায়। তারা এটাকে বলে দেশ থেকে বউ কিনে আনা। এ কারণে অনেক বিবাহযোগ্য মেয়ে দেশান্তরি হচ্ছে। অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে, আবার অনেকে বিপদে পড়ছে। ধর্ষণের শিকারও হয়েছে অনেকে। মুক্তিপণ না পেলে পুরুষদের আমৃত্যু জঙ্গলে আটকে রাখলেও নারীদের একপর্যায়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় পতিতাবৃত্তি পরিচালনাকারী চক্রের কাছে।দুই সন্তানের জননী সালেহা বেগম জানান, সাত বছর আগে তাঁর স্বামী দালাল ধরে মালয়েশিয়া যান। সেখানে কারখানায় কাজ করেন। তাঁকেসহ দুই বাচ্চাকে মালয়েশিয়া নেওয়ার জন্য স্বামী অনেক দিন ধরে টাকা জমাচ্ছিলেন। তিনজনের জন্য ১৫ হাজার রিংগিত চুক্তি হয় দালালের সঙ্গে। থাইল্যান্ড মানব পাচারবিরোধী অভিযান শুরুর পর কোথাও ভিড়তে না পেরে তাঁদের সবাইকে সাগরের তীরে নামিয়ে দিয়ে নৌকা নিয়ে দালালেরা পালিয়ে যায়। এ মাসের শুরুতে রাত্তফুম এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে থাই পুলিশ। সালেহা বললেন, মুক্তি পেলেও তিনি মিয়ানমার ফিরবেন না। ফেরত পাঠালে স্বামীর কাছে যেতে আবারও একই ঝুঁকি নেবেন। তিনি বলেন, ‘দেশইত, আরার যে বিপদ, দরিয়ার বিপদ তো আর হের চেয়ে বেশি ন।’সংখলা প্রদেশের বাদাম বেসার ডিটেনশন ক্যাম্পে আছেন মালা বিবি (২৫)। তিনি জানালেন, স্বেচ্ছায় সাগরপথে যাত্রা করেছেন, সঙ্গে তাঁর ১০ বছরের মেয়ে ও ভাইয়ের স্ত্রী। ২০১২ সালের দাঙ্গার তাঁর স্বামী নিহত হন। চাকরি ও একটু নিশ্চিত নিরাপদ জীবনের আশায় তিনি দেশ ছাড়েন। তিনি বলেন, বুড়িচংয়ে তাঁদের বাড়িতে দুটি বড় ঘর ছিল। বৌদ্ধ উগ্রপন্থীরা স্বামীকে হত্যার পর ঘর দুটি জ্বালিয়ে দেয়। বাড়ির জায়গার দলিলপত্র পুড়ে যায়। পরে দলিল দেখাতে না পারায় রাখাইন পুলিশ আর তাদের ভিটেমাটিতে ঢুকতে দেয়নি। সেই থেকে বাস্তুহারা, উঠেছেন ক্যাম্পে। ছোট একটা মাত্র কক্ষ। গাদাগাদি করে থাকতে হয়। ভাই আগে থেকেই মালয়েশিয়া থাকেন।মালা জানান, কথা ছিল তিনজনের জন্য দালালকে আট হাজার রিংগিত দিতে হবে। তাঁরা দেশে আগাম দালালকে তিন হাজার মালয় রিংগিত দিয়েছেন। বাকি পাঁচ হাজার রিংগিত দালালদের মালয়েশিয়ায় থাকা লোকদের দিয়েছে তাঁর ভাই। কিন্তু থাইল্যান্ডের জঙ্গলে এনে দালাল উল্টে যায়। বলে, আট হাজার রিংগিত দুজনের খরচ। এ টাকায় তাঁর মেয়ে ও ভাবিকে মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে। বাকি পাঁচ হাজার রিংগিত দিলে মালাকে পাঠানো হবে। কিন্তু তিনি জানেন না, তাঁর মেয়ে ও ভাইয়ের স্ত্রী আদৌ মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে পেরেছেন কি না।টানা পাঁচ মাস দালালদের ক্যাম্পে নিজের জীবনের কথা কিছুই বলতে চাইলেন না মালা। তবে তিনি একাধিক অন্তঃসত্ত্বা নারী দেখেছেন বিভিন্ন ক্যাম্পে। তাঁরাও সবাই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। তিনি জানান, একদিন তাঁদের বলা হলো, আবার ক্যাম্প পাল্টাতে হবে। কিন্তু মালা ছিলেন খুব অসুস্থ। তখন তাঁকে একা ওই ক্যাম্পে ফেলে অন্যদের নিয়ে চলে যায় পাচারকারী চক্র। এরপর একপর্যায়ে মালা পাহাড়ি পথে নেমে গ্রামবাসীর দেখা পায়। তারাই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে পৌঁছে দেয়।মিয়ানমার সরকারের মদদে ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হয়। সে সময় বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা প্রায় সোয়া লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে বাস্তুচ্যুত করে। তারপর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে আরও কয়েক দফায় সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলে। | 141,466 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মার্চ ২০১৪, ১১:৩০ | ১৮ মার্চ ২০১৪, ১১:৫৫ | -1 | null | শুক্রবার বিনা মূল্যে চিকিত্সা দেবে বিএসএমএমইউ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/171448 | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী শুক্রবার শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৩০টি বিভাগে বিনা মূল্যে চিকিত্সা দেওয়া হবে।আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলটন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত এ কথা জানান।শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা রোগী দেখবেন। এর পরও যদি রোগী থাকে, তাঁদের ফেরানো হবে না।বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা জানান, তাঁরা কর্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। একই কর্মসূচি পরবর্তী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, তাঁদের এই উদাহরণ অন্যান্য চিকিত্সা প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোত্তম চিকিত্সাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। উত্তরোত্তর চিকিত্সাসেবার মান ভালো হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাকক্ষে চিকিত্সাধীন মানবতাবিরোধী অপরাধী গোলাম আযমের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, যাঁরা তাঁকে চিকিত্সা সেবা দিচ্ছেন, তাঁরাই তা বলতে পারবেন। তাঁর খাওয়া-দাওয়ার খরচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বহন করছে। | 59,078 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:২৯ | ১১ নভেম্বর ২০১৬, ২০:০৭ | অপরাধ,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | হার মানলেন অ্যানি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1018857 | ২২ দিন আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করে হেরে গেলেন অ্যানি বিশ্বাস (২৪)। আজ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অ্যানি মারা যান।পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য অ্যানির শাশুড়ি ও বড় ননদ তাঁর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় অ্যানির বাবার করা মামলায় কারাগারে আছেন তাঁর শাশুড়ি।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ এস খালেদ বলেন, আগুনে অ্যানির শরীরের ৩৫ শতাংশ গভীরভাবে পুড়ে গিয়েছিল। অ্যানির মৃত্যুর পর তাঁর ভগ্নিপতি জুয়েল দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার বিচার চাই আমরা। মৃত্যুর আগে অ্যানি তাঁর ওপর নির্যাতনের জবানবন্দি দিয়ে গেছেন পুলিশের কাছে।’এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইকতার মিয়া জানান, অ্যানির বড় ননদকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অ্যানির লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। অ্যানি বিশ্বাস চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের শিবু বিশ্বাসের মেয়ে। গত মে মাসে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম শিকারপুরের প্রবাসী লিটন মহাজনের সঙ্গে অ্যানির বিয়ে হয়। অ্যানির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য অ্যানির ওপর নির্যাতন শুরু করেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বিয়ের ১২ দিন পর স্বামী বিদেশে ফিরে গেলেও শাশুড়ি ও বড় ননদ প্রায়ই টাকার জন্য অত্যাচার করতেন। গত ২১ অক্টোবর অ্যানির শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন শাশুড়ি ও বড় ননদ। এ ঘটনায় অ্যানির স্বামী, শাশুড়ি ও বড় ননদকে আসামি করে মামলা করেছেন তাঁর বাবা শিবু বিশ্বাস। | 264,201 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০৪ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০৪ | বাণিজ্য | 0 | ‘জিপি কৃষিসেবা’ আনল গ্রামীণফোন | http://www.prothom-alo.com/economy/article/705558 | কৃষকদের জন্য ‘জিপি কৃষিসেবা’ ২৭৬৭৬ উদ্বোধন করেছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিভিত্তিক এ সেবার উদ্বোধন করা হয়।মুঠোফোনে পরামর্শসেবার মাধ্যমে কৃষকদের তথ্যগত সহায়তা দেওয়া হবে এ সেবায়। এ সেবা ব্যবহার করে কৃষকেরা মূলত শস্য উৎপাদন, শাকসবজি, মৎস্য চাষ, গবাদিপশু পালন ও পুষ্টিসহ পাঁচ রকমের কৃষি তথ্য পাবেন।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জিপি কৃষিসেবায় কৃষক যে অঞ্চলে অবস্থান করছেন, সেই অঞ্চলের সঙ্গে মিল রেখে কৃষি তথ্য দেওয়া হবে। এই সেবা পেতে কৃষককে তাঁর এলাকা ও পছন্দের শস্য, মাছ, গবাদিপশুর নাম দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ তিন রকমের সেবা বেছে নিতে পারবেন।শস্য বর্ষপঞ্জি ও ঋতুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষকদের এ সেবার মাধ্যমে তথ্য দেওয়া হবে। খুলনা অঞ্চলের কোনো কৃষক যদি তাঁর এলাকার আবহাওয়া অনুযায়ী তেলাপিয়া মাছ চাষের তথ্য জানতে চান, তাহলে তাঁকে সেভাবেই বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী তথ্য দেওয়া হবে। এই তথ্য হবে আইভিআর (ইন্টারঅ্যাকটিভ রেসপন্স) ও ভয়েস মেসেজভিত্তিক যা মোবাইল ফোনে শোনা যাবে। এ সেবা পেতে প্রতি সপ্তাহে খরচ পাঁচ টাকা।কৃষকেরা এ সেবার মাধ্যমে সরাসরি কলসেন্টারে ফোন করে কৃষি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন প্রতি মিনিট তিন টাকা করে। এই সেবার জন্য নিবন্ধিত গ্রাহকেরা যেকোনো অপারেটরে এক পয়সা সেকেন্ডে কল করতে পারবেন।অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন, হেড অব কমিউনিকেশন নেহাল আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কৃষিসেবার পরীক্ষামূলক পর্যায়ে প্রায় ১২ হাজার কৃষক এ সেবা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। জিপি কৃষিসেবায় কনটেন্ট পরামর্শক হিসেবে মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ ও কনটেন্ট পার্টনার হিসেবে উইনমিয়াকি কাজ করেছে। | 181,578 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:৩৩ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:৩৪ | -1 | 0 | আবিদুর রেজা খান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/44124 | আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাংসদ আবিদুর রেজা খানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৩ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে আবিদুর রেজা খান স্মৃতি পরিষদ রাজধানীর ও শরীয়তপুরের জেদেরগঞ্জ গ্রামে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কোরআনখানি। এ ছাড়া শুক্রবার আবিদুর রেজা খানের রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তি। | 14,011 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:১৫ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:১৫ | বাণিজ্য,বিশ্লেষণ | 0 | ব্যাংক হিসাব এখন ৯,৩৭,১৩,৪৯২টি | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1046603 | জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে দেশের ব্যাংকগুলো ২১০টি এটিএম বুথ স্থাপন করেছে। এ সময়ে নতুন করে হিসাব খোলা হয়েছে ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৯টি। একই সময়ে ব্যাংকের শাখাও বেড়েছে ৬৩টি। ফলে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক হিসাব বেড়ে হয়েছে ৯ কোটি ৩৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৯২টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সব নাগরিককেই এখন বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাব খুলতে হচ্ছে। এ ছাড়া সহজেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খোলা যাচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর এখনো শাখা খোলার দিকে নজর রয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং সেবা বাড়ছে।প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকগুলোর এটিএম ছিল ৮ হাজার ৩৩০টি। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ৫৪০টি। জুনে ৭৯ হাজার ৬১০ এটিএম বুথ ভাগাভাগি করা গেলেও সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার ২১৯টি। গত জুনে ব্যাংকের শাখা ছিল ৯ হাজার ৫৪৩টি, সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৬০৬টি। জুনে ৭ হাজার ১৬৭টি শাখায় অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সুবিধা থাকলেও সেপ্টেম্বর শেষে তা কমে হয়েছে ৬ হাজার ৬৮০টি। গত জুন শেষে ব্যাংকগুলোতে ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭১৩টি হিসাব থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৯ কোটি ৩৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৯২টি। ব্যাংকগুলোর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে খোলা হিসাবও এতে এসেছে। জুনে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ১৮৮ হিসাবে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সুবিধা থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ১৮ লাখ ৩ হাজার ৩০৭।অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলো তো ব্যবসার পেছনে ছুটছে। এ জন্য নতুন নতুন গ্রাহক তৈরি করছে। শাখা বাড়াচ্ছে, অন্যান্য সেবার পরিসর বাড়াচ্ছে। এখনো দেশে ব্যাংকসেবা পরিধি বাড়ানোর সুযোগ আছে বলেও মনে করেন তিনি। | 277,647 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২৬ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১ | বিনোদন | 0 | প্রকাশিত হলো ‘অশ্রুনদীর তীরে’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/131602 | ভক্তিরসাত্মক ১২টি গান নিয়ে প্রবীণ সংগীতশিক্ষক ও শিল্পী মুত্তালিব বিশ্ব অশ্রুনদীর তীরে নামে অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হলো গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে।বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত এই অডিও সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন সংগীতজ্ঞ শিল্পী সুধীন দাশ।মোড়ক উন্মোচন পর্বের পরে শিল্পী অ্যালবামের কিছু গান গেয়ে শোনান। অ্যালবামের গানগুলো হলো: ‘সখী লোকে বলে কালো’ (কথা: শৈলেন রায়, সুর: কৃষ্ণচন্দ্র দে), ‘যদি গোকুলচন্দ্র ব্রজে না এলো’ (গীতিকার/সুরকার: অজ্ঞাত), ‘কৃষ্ণ চাই না, কৃষ্ণ নাম শুধু’ (গীতিকার/সুরকার: অজ্ঞাত), ‘সখী আমিই না-হয় মান করেছিনু’ (কথা: নজরুল ইসলাম, সুর: নিতাই ঘটক), ‘কী আর বলিব তোরে রে বঁধুয়া’ (কথা: চণ্ডীদাস, সুর: প্রচলিত), ‘বহুদিন পরে বঁধুয়া আইলে’, (কথা: চণ্ডীদাস, সুর: প্রচলিত), ‘মা, তোর কত রঙ্গ দেখব বল্’ (গীতিকার/সুরকার: অজ্ঞাত), ‘সকলই তোমার ইচ্ছা’ (কথা ও সুর: রামপ্রসাদ সেন), ‘এবার আমি ভালো ভেবেছি’ (কথা ও সুর: রামপ্রসাদ সেন), ‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে’ (কথা ও সুর: রজনীকান্ত সেন), ‘ক্ষণেক দাঁড়াও ঠাকুর আমার’ (গীতিকার/সুরকার: অজ্ঞাত), ‘পাগলা, মনটারে তুই বাঁধ’ (কথা ও সুর: অতুলপ্রসাদ সেন) | 46,651 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৫ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৯ | চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা | 0 | ট্যাংকবিধ্বংসী কামানের গোলা উদ্ধার, নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/441559 | চট্টগ্রামে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ট্যাংকবিধ্বংসী একটি কামানের গোলা নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী। গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ডেবারপাড় কলাবাগান এলাকার একটি পাহাড়ের পাদদেশে এটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ধারণা, একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধকালে গোলাটি ছোড়া হলেও অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে ছিল এত দিন।বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল চন্দ্র বণিক প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কলাবাগান এলাকার একটি ড্রেনে গোলাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে বিষয়টি চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীকে জানানো হলে সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা গোলাটিকে উদ্ধার হওয়া ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।কামানের গোলা উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। পাহাড়ের পাদদেশে গোলাটি বিস্ফোরণের জন্য সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল গর্ত খুঁড়লে আশপাশের পাহাড়ে শত শত মানুষ জড়ো হয়। বেলা দুইটা ৪০ মিনিটে গোলাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।ঘটনাস্থলে আসা চট্টগ্রাম সেনানিবাসের মেজর খন্দকার মেহেদী আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, এটি ট্যাংকবিধ্বংসী গোলা। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তান কিংবা মুক্তিযোদ্ধারা এটি ছুড়েছিলেন। তবে এটি সেই সময় বিস্ফোরিত হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় কেউ হয়তো এটি এখন কোথাও কুড়িয়ে পেয়েছে। সাধারণত শত্রুর মোকাবিলায় ট্যাংক ধ্বংস করতে কামানের গোলাটি ছোড়া হয়ে থাকে।চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন এ এস এম শামীম রাফি জানান, কামানের গোলাটি অনেক বছর আগের হওয়ায় এটির গায়ের কোনো লেখা বোঝা যাচ্ছে না। | 112,225 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৩১ | ১২ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৩২ | কুমিল্লা,বিশাল বাংলা,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | পুরস্কার বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/501115 | কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন। অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালক মনোয়ারা বেগম ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। | 130,768 |
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি| | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:০৭ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:০৮ | শেরপুর,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | জেল-জরিমানা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/630952 | ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল রোববার বগুড়ার শেরপুরে তিন মাদকসেবীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ চাঁদাবাজকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরুজুল ইসলাম ওই আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মাদকসেবীরা হলেন মো. রানা, মো. ওয়াসিম ও মো. মানিক এবং চাঁদাবাজরা হলেন শাহজাহান আলী, মো. টিটু, লিটন হোসেন, মো. মিঠু ও মো. আতাউর রহমান। শেরপুর থানার ওসি আলী আহমেদ হাশমী বলেন, গতকাল পৃথক অভিযানে তাঁদের আটক করা হয়। | 168,802 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৫ জুলাই ২০১৪, ০০:৫৮ | ১৫ জুলাই ২০১৪, ০১:০০ | বাণিজ্য,অপরাধ | 0 | বদি আলমদের দৌরাত্ম্য | http://www.prothom-alo.com/economy/article/267889 | চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘুষ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি ফাইল নড়ে না বললেই চলে। এসব ফাইল নাড়াতে ‘বদি আলম’দের সহায়তা নেন ব্যবসায়ীরা। এঁরা ‘ফালতু’ নামেও পরিচিত। এঁরা শুল্ক বিভাগের নিয়োগকৃত কোনো কর্মচারী নন। তবে শুল্ক কর্মকর্তারা তাঁদের অবৈধ অর্থ লেনদেনের জন্য নিয়োজিত করেন। শুল্ক কর্মকর্তাদের একাংশ নিজেরা সরাসরি ঘুষের অর্থ না নিয়ে এসব বদি আলম বা ফালতুদের মাধ্যমে নেন। এই বদি আলম বা ফালতুরা অনেকটা দালালের ভূমিকা পালন করেন।চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে এমন ৬০ থেকে ৭০ জন বদি আলম বা ফালতু রয়েছেন, যাঁরা নিয়মবহির্ভূত লেনদেনে ব্যবসায়ী ও শুল্ক কর্মকর্তাদের সহায়তা করে থাকেন। চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউস নিয়ে টিআইবির গবেষণায় এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। ফাইল দ্রুত সই করানোর কাজ করেন এসব বদি আলম। বিনিময়ে পদে পদে ঘুষ দিতে হয় ব্যবসায়ীদের।গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এসব বদি আলমই শুল্কায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মবহির্ভূত লেনদেনে সমঝোতা করে থাকেন। শুল্ক কর্মকর্তাদের কার্যক্রম এসব ফালতুর ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। অনেক ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড ফালতুদের জানা থাকায় তা অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।এ সম্পর্কে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একটি ফাইলে ১১ থেকে ১৬টি সই দরকার হয়। এসব সই ত্বরান্বিত করার নামে ওঁরা (বদি আলম) দালালের ভূমিকা পালন করেন। তিনি মনে করেন, ব্যবসায়ীদের একাংশ এই বদি আলমদের সহায়তা নিয়ে থাকেন।প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে কাস্টম হাউস থেকে বদি আলমদের বের করে দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে তাঁদের ওপর কর্মকর্তাদের নির্ভরশীলতার কারণে পুনর্বহাল করা হয়। | 77,908 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৬ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৮ | কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | কার গাছ, কে কাটে! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/735037 | কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া-থিমছড়ি সড়কের পাশের ১৪টি গাছ (মেহগনি ও একাশি) কেটে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এক মাস আগে এসব গাছ কাটা হয়। এর মধ্যে দুটি গাছ কে বা কারা চুরি করেছে।গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৫ ও ৬ ডিসেম্বর থিমছড়ি সড়কের পাশে সৃজিত ১৪টি গাছ কেটে ফেলেন গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব সিকদার। সড়কের পাশের সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিতভাবে জানান গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী। পরে ইউএনও ভূমি অফিসের তহশিলদারকে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেন। তিনি ঘটনার সত্যতা পান। এরপর গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কেটে ফেলা গাছগুলো যাতে কেউ নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেন।জানতে চাইলে গর্জনিয়া ভূমি অফিসের তহশিলদার চন্দন দাশ বলেন, ইউএনওর নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি ১৪টি গাছ কাটার প্রমাণ পেয়েছেন। গাছ কেটেছেন আয়ুব সিকদার নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছগুলোর ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।জানতে চাইলে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, কেটে ফেলা গাছগুলো এখনো রাস্তার পাশে পড়ে আছে। এর মধ্যে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর রাতে কে বা করা দুটি গাছ নিয়ে গেছে। এ ঘটনার বিচার না হলে সড়কের অন্য গাছগুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান হোসেন বলেন, দুর্গম এলাকায় গিয়ে গাছগুলো পাহারা দেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।স্থানীয় গিলাতলী বনবিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী জব্দ করা গাছ বন বিভাগে হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু ১৪টি গাছের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে। গাছগুলো কাটার আগে কেউ বন বিভাগ থেকে অনুমতিও নেয়নি।গাছ কাটার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতা আয়ুব সিকদার দাবি করেন, ‘২৩ বছর আগে সড়কের পাশে নিজের জমিতে এই গাছগুলো তিনি রোপণ করেন। এখন প্রয়োজন থাকায় এসব গাছ তিনি কেটেছেন। কিন্তু অভিযোগ করায়, পুলিশ কেটে ফেলা গাছ জব্দ করেছে। এ ঘটনার তদন্ত করছেন এসি ল্যান্ড (উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি)। কয়েক দিন পর তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। তখন জানতে পারবেন, গাছগুলো আমার, নাকি সরকারের?’গাছ কাটার আগে বন বিভাগের অনুমতির বিষয়ে আয়ুব সিকদার দাবি করেন, গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগের মৌখিক অনুমতি ছিল।জানতে চাইলে রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল করিম গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, গর্জনিয়া সড়কের গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।এ বিষয়ে গত দুই দিন মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও ইউএনও সেলিনা কাজীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি। | 190,850 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জুন ২০১৬, ০০:৪৯ | ১৮ জুন ২০১৬, ০০:৫০ | মহানগর,অপরাধ | 0 | ওজন বাড়াতে বরফে গরুর মাংস | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/891370 | গরুর মাংসের ওজন বাড়িয়ে বিক্রির অভিনব কৌশল বের করছেন ব্যবসায়ীরা। ওজন বাড়াতে বরফে রাখা হচ্ছে মাংস। এরপর সেই মাংস ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন তাঁরা। রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে গতকাল শুক্রবার এমন ঘটনা ধরা পড়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে।এ ছাড়া দাম বেশি রাখার কারণে একই বাজারের আটজন মুরগি ব্যবসায়ী ও চারজন মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৬ জন মাংস ও মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে হাতিরপুলের কাঁচাবাজারে এ অভিযান চালানো হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার অভিযানে এই বাজার থেকে জব্দ করা হয়েছে ১০০ কেজি গরুর মাংস।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, এই বাজারের তিন ব্যবসায়ী বরফ-ভর্তি কর্কশিটের বাক্সের ভেতর গরুর মাংস রাখতেন। বরফে রাখা হলে মাংস শক্ত হয় ও ওজন বৃদ্ধি পায়। এভাবে চার-পাঁচ দিন মাংস রেখে দেওয়া হতো। তাঁরা এই মাংস আবার সদ্য জবাই করা গরুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দিতেন। এভাবে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্য ৪২০ টাকায় বিক্রি করে বেশি লাভ করতেন এই তিন মাংস ব্যবসায়ী।তবে বরফে না রাখলেও সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩০ টাকা বেশি রেখে ৬০০ টাকায় প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি করছিলেন হাতিরপুল বাজারের এক ব্যবসায়ী।অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকার চেয়ে ১২৫ টাকা বেশিতে ৫০০ টাকা কেজি দরে দেশি এবং পাকিস্তানি কক জাতের মুরগি ২৬০ টাকার বদলে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন বাজারের আট ব্যবসায়ী। এ ছাড়া রুই মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা হলেও হাতিরপুল বাজারে তা বিক্রি হতো ৫৫০ টাকায়। এ জন্য এই বাজারের চারজন মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। | 233,365 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৭ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৮ | রাজধানী (জাতীয়),দুর্ঘটনা | null | গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ মা-বাবা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1312901 | কেরানীগঞ্জে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ তিনজনের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে হামিম নামের ওই শিশু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার একটি বাড়িতে এই সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সুজন (৩০), তাঁর স্ত্রী হাবিবা (২২) ও একমাত্র সন্তান হামিম (৩) দগ্ধ হয়।হামিমের চাচি জেসমিন বেগম বলেন, গতকাল রাতে হাবিবা মশা তাড়ানোর কয়েল ধরানোর জন্য দেশলাই জ্বালান। দেশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে সুজন, হাবিবা ও হামিম দগ্ধ হয়। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বলেন, শিশু হামিম আজ বিকেল ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সুজনের ৪৫ শতাংশ ও হাবিবার ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু হামিমের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। | 336,450 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৩৬ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৩৬ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | বোয়ালখালীতে স্কুলছাত্র খুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/416998 | চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় সাইদুল ইসলাম সায়েম (১৭) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বোয়ালখালীর গোমদণ্ডী এলাকার একটি পুকুর থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশ বলছে, সহপাঠীর প্রেমে বাধা দেওয়ার কারণে সাইদুলকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলো সাইদুলের সহপাঠী মোবারক হোসেন জাবেদ (১৭) ও স্থানীয় রাজমিস্ত্রী মো. সোহেল (১৯)। তাদের বাড়ি পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকায়। নিহত সাইদুল একই এলাকায় নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত।বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল ইসলাম বলেন, সাইদুলের সহপাঠী জাবেদ তার (সাইদুল) এক আত্মীয়ার সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলতে চেয়েছিল। কিন্তু সাইদুল এতে বাধা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে তাকে ডেকে নেয় মোবারক। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেলের সহযোগিতায় সাইদুলের গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করা হয়। এরপর লাশ পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে পুকুরে লাশ ভেসে ওঠে।ওসি জানান, এ ঘটনায় নিহত সায়েমের বাবা গতকাল হত্যা মামলা করেছেন। এরপর বিকেলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তারা খুন করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। | 104,771 |
পলাশ বড়ুয়া, দীঘিনালা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জুন ২০১৫, ০০:১১ | ২১ জুন ২০১৫, ০১:৩২ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সিন্ধুকছড়িবাসীর বিশুদ্ধ পানির স্বপ্নপূরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/558193 | খাগড়াছড়ির নতুন সৃষ্ট গুইমারা উপজেলার সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়নে ১৩ হাজার মানুষের বিশুদ্ধ পানির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। গত ১০ বছরে বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কয়েক শ মানুষ। তবে ওই এলাকায় এখন আর বিশুদ্ধ পানির সংকট নেই। পানীয় জলের পাশাপাশি এলাকার লোকজন এখন সেচ–সুবিধাও পাচ্ছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে ওই এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায়।কিছুদিন আগেও সিন্ধুকছড়ির ৩৮টি গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল ছড়া ও কুয়ার পানি। বর্তমানে ৪০০ পরিবারের প্রত্যেকের বাড়িতে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় মুসলিমপাড়া, সিন্ধুকছড়ি উত্তরপাড়া, বাজারপাড়া, নাক্রাইপাড়া ও ত্রিপুরাপাড়ার পরিবারগুলো এই সুবিধা পাচ্ছে। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর অধীনে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর। চলতি জুন মাসের ১৭ তারিখ গুইমারা ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল মো. সফিকুর রহমান এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন ২৪ ফিল্ড আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তোফায়েল আহমেদ ও সিন্ধুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রাব্বি আহসান।বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলেও উদ্যোগটি ছিল সিন্ধুকছড়ি সেনা জোনের। প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার পাশাপাশি পানি ব্যবস্থাপনার জন্য সেনাবাহিনী এলাকাবাসীকে নিয়ে সিন্ধুকছড়ি আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটি নামের সমিতিও গঠন করেছে। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে আরডিএকে প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চার লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়। বাকি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করবে সমিতি। প্রকল্পের শুরুতে প্রথম পরীক্ষামূলক খননে ২ লাখ ১৮ হাজার, দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক খননে ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকাসহ মোট ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে। ব্যয় মেটাতে উপকারভোগী প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসে ৩০০ টাকা হারে চাঁদা ধার্য করা হয়েছে।১৭ জুন সরেজমিন সিন্ধুকছড়ি বাজারপাড়া এলাকার সানজয় ত্রিপুরার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানের পানির লাইন থেকে কলসি ও বালতিতে করে পানি সংগ্রহ করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সানজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘আগে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে ছড়া থেকে পানি সংগ্রহ করতে হতো। সেই পানিও বিশুদ্ধ ছিল না। আর এখন বাড়ির উঠানেই বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে।’ রোয়াজাপাড়া এলাকার নন্দিতা ত্রিপুরা জানান, সিন্ধুকছড়ি এলাকায় প্রতিবছর বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া রোগ দেখা দেয়। অনেক মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এখন এই সমস্যা দূর হওয়ায় তাঁরা খুব খুশি।সিন্ধুকছড়ি আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ফজলুল হক বলেন, প্রতি মাসে ৪০০ পরিবারের কাছ থেকে ৩০০ টাকা হারে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হবে। বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ, প্রকল্পের মাসিক কিস্তি পরিশোধসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় হবে ৮৩ হাজার টাকা। কমিটির লাভ হবে ৩৭ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৫০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া যাবে। ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল মো. রফিকের রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে সহযোগিতা করা সেনাবাহিনীর নৈতিক দায়িত্ব। আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণেই কাজ করে থাকি।’ | 146,851 |
সিলেট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ আগস্ট ২০১৫, ০১:৪১ | ০৫ আগস্ট ২০১৫, ০১:৪২ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,মহানগর | 0 | এবার উপাচার্য কার্যালয়ে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/593824 | সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে তাঁর কার্যালয়েই দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেন সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের একাংশ। এ সময় শিক্ষকেরা ওই কার্যালয়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দেন। গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য মো. আমিনুল হক ভূইয়ার পদত্যাগ দাবিতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে তাঁর কার্যালয়ে যান আন্দোলনরত সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের একাংশ। এ সময় শিক্ষকেরা উপাচার্যের কার্যালয়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দেন। এ ছাড়া উপাচার্যকে পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি দেন। উপাচার্যের কার্যালয়েই তাঁরা বেলা একটা পর্যন্ত অবস্থান নেন। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অবস্থানের কারণে বেলা ১১টার পূর্বনির্ধারিত শিক্ষাছুটি কমিটির বৈঠক হয়নি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকটি স্থগিত করে।এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের ওই অংশের আহ্বায়ক সৈয়দ শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আর আমাদের কর্মসূচির সময় উপাচার্যের কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকবে কেন?’প্রসঙ্গত, সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্য মো. আমিনুল হক ভূইয়ার বিরুদ্ধে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের অভিযোগ এনে গত ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি প্রশাসনিক পদ থেকে ৩৫ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। গত ২৩ জুন উপাচার্য সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের অপর অংশ থেকে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও চারজন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেন। ২৩ জুন থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষকেরা উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন। গত ২৩ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনরত শিক্ষকেরা উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন স্থগিত করেন। কিন্তু গতকাল থেকে আবার তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান করার নতুন এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। | 157,677 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৬ জুলাই ২০১৬, ১৫:১৭ | ১৬ জুলাই ২০১৬, ১৬:২৯ | ইউরোপ | null | সবাইকে রাস্তায় থাকার আহ্বান এরদোয়ানের | http://www.prothom-alo.com/international/article/915976 | নিজ দলের সমর্থকদের রাস্তায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। যেকোনো সময় আবার এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।এএফপির খবরে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় এরদোয়ান বলেন, ‘সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, আমাদের সারা রাত রাস্তায় থাকতে হবে। কারণ, যেকোনো মুহূর্তে আবার নতুন করে এ ধরনের ঘটতে পারে।’তুরস্কের ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান উমিত দুনদার বলেছেন, অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।গতকাল শুক্রবার রাতে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা চলে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আহ্বানে রাস্তায় নেমে আসে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) সমর্থকেরা। বিস্ফোরণ, গুলি, সংঘর্ষ, সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ৪৭ জন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ১০৪ জন অভ্যুত্থানকারী নিহত হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান উমিত দুনদার।আরও পড়ুন: তুরস্কে নিহত ৯০, সহস্রাধিক সেনা আটকতুরস্কে ১০৪ অভ্যুত্থানকারী নিহত | 240,457 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১২ জুন ২০১৬, ০০:০১ | ১২ জুন ২০১৬, ০১:০৯ | সংস্কৃতি | 0 | বাদল রহমান স্মারক বক্তৃতা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/885238 | চলচ্চিত্রকার বাদল রহমানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল। প্রতিবছরের মতো এ উপলক্ষে এবারও আয়োজিত হলো বাদল রহমান স্মারক বক্তৃতা। আলোচনার বিষয় ‘বাংলা চলচ্চিত্রে বাউল পরিবেশনার রাজনীতি’।বাদল রহমানের স্মৃতিচারণা করেন ছেলে অভিষেক রহমান, বন্ধু ও চলচ্চিত্রকার সি বি জামান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, এফএফএসবি সভাপতি লাইলুন নাহার ও মুভিয়ানার সভাপতি বেলায়াত হোসেন। ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ (এফএফএসবি), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির যৌথ এ আয়োজনটি ছিল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ আল মামুন মূল বক্তৃতায় বলেন, বাঙালির বাউল ভাবনায় তিনটি পর্ব আছে। প্রথম পর্ব চল্লিশের দশকের আগ পর্যন্ত। বাউলদর্শন তখন অচ্ছুত বিষয়। হিন্দু ও মুসলমান—উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বাউলদের ব্যাপারে তেমন কিছু জানত না। রবীন্দ্রনাথ এখানে ব্যতিক্রম। দ্বিতীয় পর্ব চল্লিশের দশক থেকে। এ সময় উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বাউলদের আত্তীকরণ করতে চান। তখনকার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—লালন হিন্দু না মুসলমান? তৃতীয় পর্ব শুরু বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে। এ সময় লালন ধর্মনিরপেক্ষ বাউলসম্রাট হিসেবে উপস্থাপিত হন।আ আল মামুন বলেন, বাউল জীবনদর্শন নিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে অচিন পাখি ও লালন, ভারতে হয়েছে মনের মানুষ, কসমিক সেক্স। তাঁর মতে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রগুলো লালন ও বাউলদের জানা তথ্যগুলো থেকে নির্মিত হয়েছে। আর ভারতের চলচ্চিত্রগুলো বাউলদের জীবনের অজানা জায়গার ওপর। সেটা করতে গিয়ে সেখানে গবেষণার তথ্যের চেয়ে কল্পকাহিনির জায়গাটা বেশি। | 231,595 |
পাবনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৩০ | ০২ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৩১ | পাবনা,বিশাল বাংলা,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ | 0 | নরসিংদী থেকে ডাকাতি করা কাপড় পাবনায় উদ্ধার, আটক ৬ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/492175 | নরসিংদীর বাবুরহাট থেকে ডাকাতি হওয়া প্রায় দেড় কোটি টাকার কাপড় পাবনার ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়।আটক ব্যক্তিরা হলেন ভাঙ্গুড়া বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫), তাঁর ভাই সুইট হোসেন (২৫), ফরিদপুর পৌর সদরের মাসুদ হোসেন (৪০), তাঁর ভাই সোহেল রানা (৩০) ও ফরিদপুর উপজেলার মন্টু হোসেন (৪০)।নরসিংদী ডিবির এসআই আবদুল গাফফার জানান, গত ৭ মার্চ রাতে নরসিংদী জেলার শেখেরচর বাবুরহাট থেকে ২০ জন ব্যবসায়ী প্রায় ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের কাপড় বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ে শরীয়তপুর যাচ্ছিলেন। ট্রাকটি মাধবদী মহাসড়কে পৌঁছালে আটজন ডাকাত সেটির গতিরোধ করে চালক ও সহকারীর মুখ, হাত-পা বেঁধে গাজীপুরের টঙ্গীতে নিয়ে যায়। এরপর অন্য ট্রাকে কাপড়গুলো তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।পরদিন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিন্টু কাজী বাদী হয়ে চালক, চালকের সহকারীসহ চারজন, অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ গত সোমবার সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য নজরুল ইসলাম ও তাঁর চার সহকারীকে আটক করে। তাঁদের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে পাবনার ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে কাপড়গুলো উদ্ধার করে।তবে আটক ব্যক্তিরা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁরা শুধু কাপড় কিনেছিলেন। ডাকাতির ঘটনা তাঁদের জানা নেই। | 128,109 |