author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২৬ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৮
২৭ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫২
স্বাধীনতা দিবস,গুগল
null
গুগল ডুডলে আজ স্বাধীনতা দিবস
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1585305
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গুগলের হোমপেজে আজ বিশেষ একটি ডুডল রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ এ ডুডল প্রদর্শন করছে গুগল। ডুডলটিতে লাল বর্ডারের ভেতর সবুজের বুক চিরে গুগল লেখাটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর ঠিক ওপর স্থান পেয়েছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের অপার সৌন্দর্য।গুগলের হোম পেজে দেখানো বিশেষ লোগো হচ্ছে এ ডুডল। বিশেষ কোনো দিন বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির জন্য সার্চ বক্সের ওপরে নিজেদের লোগো বদলে বিশেষ দিনটির সঙ্গে মানানসই নকশার যে লোগো তৈরি করে গুগল, তা–ই ডুডল।আজকের ডুডল সম্পর্কে গুগল তাদের ডুডল পাতায় লিখেছে, বঙ্গোপসাগরের পারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস আজ। দেশের বুক চিরে বয়ে গেছে ৭০০টির বেশি নদী। ৪৮ বছর আগে এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে দখলদারমুক্ত করতে সংগ্রামে নামার আহ্বান জানান।স্বাধীনতা দিবসে আজ সরকারি ছুটি। সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো আজ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে।গুগলের ডুডলটি শুধু বাংলাদেশ থেকেই দেখা যাচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েক বছর ধরেই স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করে গুগল। ২০১৩ সালে প্রথমবার স্বাধীনতা দিবসের ডুডল প্রদর্শন করেছিল গুগল কর্তৃপক্ষ।
395,341
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৫
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৬
চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
তিন এলজিসহ গ্রেপ্তার ১
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/319099
চট্টগ্রামের শাহ আমানত তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকা থেকে দেশে তৈরি তিনটি এলজিসহ মোস্তাক আহমেদ (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোস্তাক কক্সবাজার জেলার ঈদগাহ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি অস্ত্রের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
93,141
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:৫৩
২৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:৫৪
-1
0
৮০ ভাগ সড়ক সংস্কার করেছি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1300591
২০১৫ সালে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। গতকাল তাঁর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুঠোফোনে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।প্রথম আলো: ওয়াসার পানিসংকট নিরসনে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন?কাউন্সিলর: এটা আমার ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা। মাঝেমধ্যে লাইনে পানি পেলেও তাতে প্রচুর ময়লা থাকে। এতে মহল্লার অসংখ্য মানুষ চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই সমস্যা নিরসনে ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং ওয়াসার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ এই সমস্যা দূর হবে, তা জানি না।প্রথম আলো: যানজট নিরসনে কী পদক্ষেপ নেবেন?কাউন্সিলর: এই এলাকার যানজট নিরসনে দিনের বেলা বড় গাড়ি ঢোকা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। এখন তা নিরসনে আবার উদ্যোগ নেওয়া হবে।প্রথম আলো: মৌলভীবাজার কমিউনিটি সেন্টার কবে নাগাদ নির্মাণ করা হবে?কাউন্সিলর: এটি আমার ওয়ার্ডের একমাত্র কমিউনিটি সেন্টার। তাই তা দ্রুত নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র। পুরোনো ভবনটি ভেঙে নয়তলা একটি আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হবে। এই কমিউনিটি সেন্টারের নকশা তৈরির কাজ চলছে।প্রথম আলো: জলাবদ্ধতা নিরসনে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?কাউন্সিলর: ডিএসসিসির একটি পাইলট প্রকল্পের অধীনে আমার ওয়ার্ডের ৯০ ভাগ জলাবদ্ধতা নিরসন করেছি। বাকি ১০ ভাগও কমিয়ে আনা হবে।প্রথম আলো: গত দুই বছরে কী কী উন্নয়ন কাজ করেছেন?কাউন্সিলর: আমি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরই আমার ওয়ার্ডের ৮০ ভাগ সড়ক সংস্কার করেছি। এখনো কয়েকটি সড়ক সংস্কার প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রতিটি সড়কে এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে।
334,673
নাটোর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ জুলাই ২০১৩, ১০:৪৪
২৩ জুলাই ২০১৩, ১০:৪৭
পরিবেশ
0
সেতুর ভাঙনে নাটোর-ঢাকা যানচলাচল বন্ধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/28560
নাটোরের সদর উপজেলায় নারদ নদের ওপর দত্তপাড়া সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ায় নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সেতুর উভয় পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা।হাইওয়ে পুলিশ, সওজ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোর রাত তিনটার দিকে নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে দত্তপাড়া সেতুটির মাঝখানের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। এতে সেতুর উভয় পাশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলগামী (কুষ্টিয়া, পাবনা, যশোর, খুলনা, বরিশাল) সব যানবাহন আটকা পড়ে। সকাল ছয়টা নাগাদ সেতুর উভয় পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়ে।এদিকে সেতুর অংশবিশেষ ভেঙে পড়ার সময় সেতুর ওপর আটকা পড়ে একটি পণ্যবাহী ট্রাক। হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মীরা অনেক চেষ্টা চালিয়ে সকাল নয়টার দিকে ট্রাকটি সরাতে সমর্থ হন। এরপর সেতুর পশ্চিম অংশ দিয়ে অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল শুরু হয়। তবে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সওজ কর্তৃপক্ষ বাঁশ দিয়ে সেতুটি বন্ধ করে দিয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মেরামতকাজ শুরু হয়।প্রত্যক্ষদর্শী দত্তপাড়া মোড়ের পান ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ভোরে একটি মালবাহী ট্রাকসহ সেতুটি ডেবে যায়। পরে আস্তে আস্তে সেতুর কিছু অংশ ধসে পড়ে। তখন আমরা উভয় পাশের গাড়ি থামিয়ে দিই।’বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছি। তবে আন্তজেলাসহ বিভিন্ন জেলার যানবাহন বনপাড়া-লালপুর ও হয়বতপুর-দরাপপুর সড়ক হয়ে চলাচল করছে। এতে সকাল সাতটার পর যানজট কমতে শুরু করেছে।’সড়ক ও জনপথ বিভাগ নাটোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বাদেশ আলী বলেন, ‘নারদ নদের ওপর বহু আগে নির্মিত সেতুটি কিছুদিন আগে সংস্কার করা হয়েছিল। তবে অত্যধিক যানবাহন চলাচল করার কারণে সেতুটির অংশবিশেষ খসে পড়েছে। আমরা বিকল্প ব্যবস্থায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
4,442
বিশাল বাংলা ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ মে ২০১৫, ০১:৩১
০১ মে ২০১৫, ০১:৩২
বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা
0
তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/516949
জামালপুরের সদরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ও শেরপুরের শ্রীবরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কৃষি শ্রমিকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গত বুধ গতকাল বৃহস্পতিবার ওই দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদরের পূর্ব ফুলবাড়িয়া এলাকার হাতেম আলী (৭৫), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মাজনাবাড়ি গ্রামের কৃষি শ্রমিক আব্বাস উদ্দিন (৪০) ও শ্রীবরদীর ইন্দিলপুর গ্রামের তোফাজ উদ্দিন (৮৫)।আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:জামালপুর: হাতেম আলী ও মগর মুন্সি স্থানীয় মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে মসজিদ থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হন। এ সময় মসজিদের সামনেই ফুলবাড়িয়া রাস্তায় একটি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর তাঁদের দুজনকে চাপা দেয়। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাতেম আলীর মৃত্যু হয়।এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ফুলবাড়িয়া রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আওয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভুইশ্বর গ্রামের কৃষক মিন্নত আলীর জমিতে গত বুধবার রাতে ১১ জন কৃষি শ্রমিক দিনভর ধান কাটেন। রাত আটটার দিকে ট্রাক্টরে করে ধান নিয়ে তাঁরা মিন্নত আলীর বাড়িতে ফিরছিলেন। ট্রাক্টরটি ব্রাহ্মণগাঁও বড় সেতু এলাকায় পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় শ্রমিকেরা ভয়ে ট্রাক্টর থেকে লাফিয়ে পড়তে থাকেন। এতে আব্বাস উদ্দিনসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে আব্বাস উদ্দিন মারা যান।থানার ওসি আলী আরশাদ বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।শেরপুর: গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা বকশীগঞ্জ থেকে শেরপুর আসার পথে ইন্দিলপুর এলাকায় পথচারী তোফাজ উদ্দিনকে চাপা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটি সড়কের ওপর উল্টে পড়লে অটোরিকশার যাত্রী বকশীগঞ্জের মিহিরন (৩৫) ও তাঁর ছেলে নাহিদ (১০) আহত হয়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। বাকি আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।থানার ওসি মো. এস আলম জানান, পুলিশ অটোরিকশাটি আটক করেছে। তবে চালক পলাতক।
135,725
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ জুলাই ২০১৬, ১৭:২৮
২১ জুলাই ২০১৬, ২০:২৮
অপরাধ
null
পচা আম দিয়ে তৈরি হচ্ছিল ‘সেজান জুস’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/921235
পচা আম দিয়ে ‘পাল্প’ তৈরি করার অভিযোগে সেজান জুস কারখানাকে আজ বৃহস্পতিবার দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয় দুর্গন্ধযুক্ত ৪০০ মণ পচা আম। পরে অবশ্য তা ধ্বংস করা হয়। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কারখানাটি অবস্থিত।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল আটটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোদাগাড়ী উপজেলার সারেংপুর এলাকায় গাড়ি তল্লাশি করছিল। এ সময় তারা একটি গাড়িতে দুর্গন্ধযুক্ত পচা আমের গন্ধ পায়। তারা তখন জানতে পারে, গাড়িটি উপজেলার চব্বিশনগরের অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় যাচ্ছে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মনির হোসেনকে জানান। সহকারী কমিশনার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি আমবোঝাই চারটি গাড়ি উপজেলা চত্বরে নিয়ে আসেন। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালিদ হোসেন ও গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ আমগুলো দেখেন। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০০ মণ পচা আম ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখান থেকে আমগুলোকে উপজেলার সাহাব্দিপুর এলাকায় ফাঁকা জায়গায় এনে ধ্বংস করা হয়।গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ জানান, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আমগুলো ৬০০ টাকা মণ দরে কিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আনা হচ্ছিল। জুস তৈরির উদ্দেশ্যে এই পচা আমগুলো আনা হয়েছিল। তিনি বলেন, উপজেলার সারেংপুরে জব্দ করা আম ধ্বংস করার পরে সেজান জুস কারখানায় অভিযান চালানো হয়। কারখানার ভেতরে গিয়ে পচা ও পোকা ধরা আম দিয়েই জুস তৈরি করতে দেখা যায়। সেখানে গন্ধে টেকা যাচ্ছিল না। ভেতরেও প্রায় ২০০ মণ পচা আম পাওয়া যায়।আদালতের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, যে কর্মচারীরা জুস তৈরি করছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করা হয়, নিজের বাচ্চাকে তাঁরা এই আমের জুস খাওয়ান কি না? তখন তাঁরা বলেছেন, তাঁরা নিজের বাচ্চাকে এই জুস খাওয়ান না। কারখানার ব্যবস্থাপক আবদুল করিমকে জিজ্ঞেস করা হয়, চোখ বন্ধ করে যেকোনো একটি আম হাতে তুলে খেতে দিলে আপনি খাবেন কি না? ব্যবস্থাপক বলেছেন, তিনি খেতে পারবেন না। তিনিও বলেন, নিজের বাচ্চাকে তাঁরা এই জুস খাওয়ান না। তাহলে এই আম দিয়ে কেন জুস তৈরি করেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কম দামে পাওয়া যাচ্ছিল, তাই তাঁরা এ আম দিয়ে জুস তৈরি করছেন।আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন আমগুলো জব্দ করে ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। আমগুলো সেখানেই ধ্বংস করা হয়। আদালত প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করলে কারখানার ব্যবস্থাপক সঙ্গে সঙ্গে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন।ওই কারখানায় কর্মচারীরা খালি হাতে কাজ করছিলেন। এ অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের গ্লাভসের ব্যবস্থা করতে এবং মানসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করার নির্দেশ দিয়ে আসেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা কারখানাটি আবার পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়ে আসেন।
241,924
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ আগস্ট ২০১৪, ০১:১১
০৭ আগস্ট ২০১৪, ০১:১৩
রাজধানী (জাতীয়),মহানগর
0
আন্তস্কুল বিপণন প্রতিযোগিতা ‘ব্র্যান্ডউইটজ-২০১৪’–এর উদ্বোধন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/284449
প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগের উদ্দেশে্য ষষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে আন্তস্কুল বিপণন প্রতিযোগিতা ‘ব্র্যান্ডউইটজ-২০১৪’। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) কমিউনিকেশন ক্লাব ‘আইবিএসিসি’।গতকাল বুধবার আইবিএ মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ। তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশ কিছু ভবিষ্যৎ নেতা পাবে, যারা দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বোম্বে সুইটসের উপদেষ্টা নুরুজ্জামান ভূইয়া, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম এবং আইবিএ কমিউনিকেশন ক্লাবের মডারেটর সুতপা ভট্টাচার্য।আব্দুল কাইয়ুম বলেন, প্রথম আলো সব সময়ই একধরনের প্রতিযোগিতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। গণিত অলিম্পিয়াড ও ভাষা প্রতিযোগ প্রতিযোগিতা দুটি বর্তমানে দেশের সফল প্রতিযোগিতা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ব্র্যান্ডউইটজ একসময় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রসারিত হবে।সুতপা ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য ও প্রতিভা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে আসছে।ব্র্যান্ডউইটজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিপণন প্রতিযোগিতা দাবি করে আইবিএ কমিউনিকেশন ক্লাবের সভাপতি তায়াবুর রহমান বলেন, এ বছর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনার ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। আগস্ট মাসজুড়ে চলা এ প্রতিযোগিতা সর্বমোট চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ী নির্ধারণী চতুর্থ ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ আগস্ট হোটেল রেডিসন ওয়াটার গার্ডেনে। বিজয়ী দলকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বোম্বে সুইটস এবং সহযোগী পৃষ্ঠপোষক প্রথম আলো। মিডিয়া সহযোগী চ্যানেল আই ও এফএম সহযোগী এবিসি রেডিও।
83,163
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
economy
অর্থনীতি
২৮ জুন ২০১৮, ১৯:৪১
২৮ জুন ২০১৮, ২৩:৩৩
-1
null
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ৪০০০ কোটি টাকা
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1520546
টানা পাঁচ বছর বৃদ্ধির পর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিকদের আমানত কমেছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমার পরিমাণ ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে এসে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা।সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও গত কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করে আসছে এসএনবি। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গোপন কেরে অর্থ জমা রাখলে ওই অর্থ এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত নয়। গচ্ছিত রাখা সোনা বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি প্রতিবেদনে।ধনীদের অর্থ দেশটির ব্যাংকে গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য অনেকেরই পছন্দ সুইজারল্যান্ড। গ্রাহকের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর দেশটির ব্যাংকিং খাত। যে কারণে অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে। তবে গত কয়েক বছরে বিষয়টি নিয়ে সুইজারল্যান্ড সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে ২০১৭ সালে এসে আমানত কমেছে সুইস ব্যাংকে। অর্থ-সম্পদ গচ্ছিত রাখার বিষয়ে গোপনীয়তা কমতে থাকায় অনেক ধনী এখন অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য ঝুঁকছেন লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা, বারমুডা, এমনকি ঘরের কাছের সিঙ্গাপুরের মতো দেশের দিকে।
368,648
-1
economy
অর্থনীতি
১৮ এপ্রিল ২০১৬, ০০:১০
১৮ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৬
প্রতিষ্ঠানের খবর,খবর
0
নওগাঁয় সিটি ব্যাংকের নতুন শাখা
http://www.prothom-alo.com/economy/article/832786
নওগাঁয় সিটি ব্যাংকের নতুন শাখার সম্প্রতি উদ্বোধন করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান রুবেল আজিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সোহেল আর কে হুসেইন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন, হেড অব ব্রাঞ্চ আবদুর রহমান প্রমুখ। নতুন এ শাখার মাধ্যমে গ্রাহকদের রিটেইল লোন, ডিপোজিট, কাস্টমার কেয়ার, রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হবে বলে জানান রুবেল আজিজ। বিজ্ঞপ্তি।
221,346
তুহিন ওয়াদুদ
opinion
মতামত
২৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:০৬
২৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:০৬
তুহিন ওয়াদুদ,মতামত,লেখকের কলাম
0
‘পানি নামছে, কষ্ট নামে নাই’
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/954466
‘যামার (যার) বাড়ি-জমি সোগ (সব) নদীত ভাঙি গেইচে, কিন্তু লজ্জা করি ত্রাণ নিবার পায় না, তার কষ্ট হামার চেয়েও বেশি।’ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ডাটিয়ার চরের নওশাদ আলী অষ্টমীর চরে ত্রাণ নিতে এসে এ কথাগুলো বলছিলেন। তর্জনী সোজা করে সম্মুখে অনেক দূর দেখিয়ে তিনি আরও বলছিলেন, ‘এখানে অনেকগুলো বাড়ি ছিল, সব এবারের বন্যায় ভাঙি গেইচে। অনেক গেরস্থ ফকির হইচে। কিন্তু লজ্জায় ত্রাণ চাইতে পারে না। এলা (এখন) পানি নামছে, কষ্ট নামে নাই।’যশোরের এক শিল্পপতি ডিভাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান রাহিম কুড়িগ্রামে বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন। বন্যার্ত এসব মানুষের জন্য সেই ত্রাণ দেওয়ার কাজে দুবার গিয়েছিলাম ব্রহ্মপুত্রের চরে। দুবারই সাধারণ সমতলের বন্যার্ত মানুষের একই অভিযোগ, ‘যত ত্রাণ সব চরে যায়, কাইমের (সাধারণ সমতল) লোককে কেউ ত্রাণ দেয় না।’ অনেক সময় সারা দিন অপেক্ষা করার পর জোটে খুবই সামান্য ত্রাণ। রমনা ঘাটে গরিবুল্লাহ হোটেলের নুরুল হক জানালেন, একদিন মাত্র তিনি ত্রাণ পেয়েছেন। সেই ত্রাণের পরিমাণ আধা কেজি চিড়া, ১০০ গ্রাম গুড়। অনেকেই সরকারিভাবে একবার ১০ কেজি করে চাল পেয়েছেন।সব সময় ত্রাণের পরিমাণ কম থাকে না। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হলো, ত্রাণ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। নয়ারহাট, কড়াই বরিশাল, অষ্টমীর চর, জোড়গাছ, রমনাসহ বিভিন্ন এলাকার অনেকের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, বন্যায় যা ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। মাঠের পর মাঠ ছিল পাটখেত। সেগুলোর সবটাই পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। ধানখেতও তলিয়ে গেছে। অনেকের কলার চাষ নষ্ট হয়েছে। যাঁরা মাছের চাষ করতেন, তাঁদের পুকুরে আর মাছ নেই। নতুন করে ধান চাষের উপায় নেই। বন্যার্ত মানুষের মধ্যে সোলেমান নামের একজন বলছিলেন, ‘গত তিন বছর থাকি এই মৌসুমে একবারও ফসল পাই না। ডুবি যায়।’ সরকারিভাবে যদি ভাসমান বীজতলা তৈরি করে এখানকার কৃষকদের সহায়তা দেওয়া যেত তাহলেও বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হয়তো ধান চাষ করা সম্ভব হতো।চরের মানুষের জীবন এমনিতেই কঠিন। তার ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের আরও নাজুক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। চরগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বল্পতাহেতু সেখানে বাল্যবিবাহের প্রকোপ এখনো আছে। যেখানে যতটুকু পড়ার সুযোগ আছে, সেখানকার ছেলেমেয়েরা ততটুকুই পড়ে। তারপর মেয়েদের বিয়ে হয়। অবস্থাপন্ন ছেলেদের কেউ কেউ হয়তো কিছুটা লেখাপড়া করে। কিন্তু শ্রমজীবী মজুর পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ার যবনিকাপাত ঘটে। যেমন অষ্টমীর চরে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বাস। সেখানে মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়ার সুযোগ আছে। কলেজে পড়ার জন্য যেতে হবে কমপক্ষে সাত কিলোমিটার দূরের পার্শ্ববর্তী চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর। ফলে শ্রমজীবী দিনমজুরদের সন্তানদের পক্ষে লেখাপড়া করা সম্ভব হয় না। কুড়িগ্রাম জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে চরের সংখ্যা চার শতাধিক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এসব এলাকায় এনজিওগুলো হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল। কিন্তু তারা এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি যাতে চরজীবনের কষ্টের স্থায়ী সমাধান সম্ভব হয়। ব্রহ্মপুত্রের বজরাদি চরে গোড়ারকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাশারাতুল্লাহ চরগুলোতে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা দাবি করে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবে চরের মানুষের আগ্রহ থাকলেও পড়ার সুযোগ পায় না।’এ বছর কুড়িগ্রামে যে বন্যা হয়েছে তা কোনো কোনো স্থানে ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও ১৯৮৮ সালের বন্যার কাছাকাছি। এ বছর বন্যার শুরুতেই ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রী কুড়িগ্রামে এসে বড় বন্যার আশঙ্কার কথা বলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও ত্রাণ কিংবা দুর্যোগ মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি ছিল না। বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় যেহেতু প্রতিবছরই বন্যা হয়, তাই ওই জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আগে থেকেই রাখা প্রয়োজন। কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যারও অনেক পরে সামান্য ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধার অবস্থাও একই।চরাঞ্চলের মানুষের বিপদের অনেক বড় বন্ধু তাঁদের গৃহপালিত গবাদিপশু। বন্যা হলে এই গরু বিক্রি করে অনেকেই তাঁদের সংকটের সময় পার করেন। যাঁদের গরু নেই, তাঁরা এনজিও থেকে উচ্চহারের সুদে ঋণ নেন অথবা মহাজনের দ্বারস্থ হন। আর সারা বছর ধরে সেই ঋণের ঘানি টানতে থাকেন। কড়াই বরিশাল চরের সফিয়াল বলছিলেন, ‘ভাই, খুব কষ্টে আছি। সারা দিন যায় কোনো কাজ-কাম নাই। সারাটা দিন বসি থাকি।’ বন্যাদুর্গত এসব মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে হস্তশিল্পে দক্ষ করে বেকারদের সময়কে শ্রমে পরিণত করা সম্ভব। চরাঞ্চলগুলোতে আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে বাদাম, সরিষা ও মসুরের চাষ। সরকারিভাবে মসুর, সরিষা কিংবা বাদামের বীজ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। যখন বন্যায় ঘরবাড়ি-পথ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-প্রার্থনালয় সবকিছুই ডুবে যায়, তখন গণমাধ্যমগুলোতে বন্যা প্রসঙ্গ প্রচারণার শীর্ষে থাকে। তখন সামান্য কিছু ত্রাণ আসে। কষ্ট-সমুদ্রে কারও কারও কাছে সেই ত্রাণ জীবন বাঁচানোর নিয়ামক হয়ে দেখা দেয়। যখন বন্যার পানি নেমে যায়, কোথাও কোনো প্রচারণা থাকে না, তখনো নিভৃতে নেমে আসে দীর্ঘ কষ্টের ধারা। এই বন্যাচক্রে আবর্তিত বন্যার্ত এসব মানুষের জীবন। সরকার কি বন্যার্ত মানুষের পুনর্বাসনে মনোযোগ দেবে?তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। wadudtuhin@gmail.com
252,693
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১৪ জুলাই ২০১৬, ১৫:১৬
১৪ জুলাই ২০১৬, ২১:২৭
যুক্তরাজ্য
null
প্রথম হতে চেয়ে দ্বিতীয় হলেন থেরেসা
http://www.prothom-alo.com/international/article/914086
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া থেরেসা মে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। প্রথম হতে না পারলেও তিনি দ্বিতীয় হলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়।ভীষণ ফ্যাশনসচেতন ৫৯ বছর বয়সী থেরেসা তরুণ বয়স থেকেই স্বপ্ন দেখতেন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। মার্গারেট থ্যাচার দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাওয়ায় সে স্বপ্ন তাঁর পূরণ হয়নি। তখন তিনি খানিকটা বিরক্ত হয়েছিলেন বলেই বন্ধুদের ভাষ্য।স্বপ্ন দেখে থেরেসা যে বসে ছিলেন না, তার প্রমাণ মেলে স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে নানা ধাপ পার হয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায়। দক্ষিণ লন্ডনের মার্টনের স্থানীয় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে যে স্বপ্নযাত্রা শুরু করেছিলেন, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হয়ে তা পূরণ করলেন।থেরেসার জন্ম ১৯৫৬ সালের ১ অক্টোবর, সাসেক্সে। বেড়ে ওঠা অক্সফোর্ডশায়ারে। সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষাজীবনের শুরু। এরপর কনভেন্ট স্কুল হয়ে তিনি উইটলি গ্রামের গ্রামার স্কুলে ভর্তি হন। পরে সেই স্কুলটির নাম হয় উইটলি পার্ক কম্প্রিহেনসিভ স্কুল। গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা থেরেসা পকেট খরচা জোগাড় করতেন শনিবারে বেকারিতে কাজ করে। যাজক বাবার সন্তান তিনি। দুর্ঘটনায় যখন বাবার মৃত্যু হয়, তখন থেরেসা ২৫ বছরের তরুণী।স্নাতক পড়াশোনার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন থেরেসা ব্রাসিয়ের। প্রেমে পড়েন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফিলিপ মের। বলা হয় যে সম্ভবত রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কারণেই ১৯৭৬ সালে ফিলিপ মের প্রতি আকৃষ্ট হন থেরেসা। ফিলিপ মে তখন অক্সফোর্ড ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। এই সংগঠনকে বলা হয় ভবিষ্যৎ রাজনীতিকের উত্থানের আঁতুড়ঘর। ফিলিপ-থেরেসার আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন অক্সফোর্ডেরই ছাত্রী সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। ১৯৮০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। সেই থেকে একসঙ্গেই আছেন। এই দম্পতির কোনো সন্তান নেই।মোৎজার্ট ও এলগারের সংগীতের প্রতি থেরেসার আছে বিশেষ ভালো লাগা। রান্না করতেও বেশ পছন্দ করেন তিনি। তাঁর সংগ্রহে আছে শতাধিক রেসিপির বই। এ ছাড়া শখের বশে পাহাড়ে চড়তেও পছন্দ করেন তিনি।ভূতত্ত্বে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর থেরেসা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে কাজ শুরু করেন। পরে অ্যাসোসিয়েশন ফর পেমেন্ট ক্লিয়ারিং সার্ভিসের ইউরোপ-বিষয়ক ইউনিটের প্রধান হন। তবে রাজনীতির প্রতি তাঁর আগ্রহ কমেনি বলেই দক্ষিণ লন্ডনের মার্টনের স্থানীয় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁকে কমপক্ষে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। তবে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা না-থাকা নিয়ে গণভোটের বাজি ধরেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ব্রিটিশরা ইইউতে না থাকার পক্ষে ভোট দেন। বাজিতে হেরে পদত্যাগ করেন ক্যামেরন। এতে অপেক্ষার পালাটা আর দীর্ঘ হয়নি থেরেসার জন্য।২০১১ সালে বিবিসি রেডিও ৪-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে থেরেসার বিশ্ববিদ্যালয়–জীবনের বন্ধু পেট ফ্রাঙ্কল্যান্ড বলেন, ‘থেরেসার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ছিল না, এমন কোনো সময়ের কথা আমি মনে করতে পারি না। সব সময় দেখতাম, থেরেসার মনে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা। মার্গারেট থ্যাচার যখন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন, তখন সে যথেষ্ট বিরক্ত হয়।’ পেটসহ আরও কয়েকজন বন্ধু বললেন, ছাত্রজীবনে বেশ হাসিখুশি ছিলেন থেরেসা। ভীষণ সামাজিক জীবন যাপন করতেন।ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন থেরেসা। তবে ২০১৩ সালে তিনি জানান, তাঁর টাইপ-১ ডায়াবেটিস আছে এবং বাকি জীবন তাঁকে দিনে দুবার ইনসুলিন নিতে হবে। কনজারভেটিভ পার্টির এই নেত্রী উদার মানসিকতা পোষণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এমন একটি সরকার গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যে সরকার সব মানুষের জন্য কাজ করবে, শুধু সুবিধাভোগী কিছু মানুষের জন্য নয়।
239,791
-1
opinion
মতামত
২৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০২
২৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০২
মতামত,সম্পাদকীয়:
0
টিলা কাটা ও শ্রমিকের মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1066303
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পাহাড় বা টিলা কাটা নিষিদ্ধ ও শাস্তিমূলক অপরাধ হলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। এতে একদিকে যেমন গাছপালা নিধন হচ্ছে, তেমনি জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। হুমকিতে পড়ছে মানুষের জীবনও। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে একটি টিলা খুঁড়ে অবৈধভাবে পাথর তোলার সময় মর্মান্তিক এক ঘটনায় মাটিচাপায় দুই শ্রমিকের নিশ্চিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সূত্রে পাওয়া নামের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অবশ্য ছয়জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, গত সোমবার ভোরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা খুঁড়ে পাথর তোলার সময় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রভাবশালী তিন পাথর ব্যবসায়ী দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিকদের দিয়ে টিলা খুঁড়ে পাথর উত্তোলনের কাজ করাচ্ছিলেন। নিষ্ঠুর ব্যাপার হচ্ছে, এই ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের নিহত হওয়ার খবরটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে নিহত শ্রমিকদের লাশ তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যান্য শ্রমিক ও আশপাশের লোকজন ছয়জনের মৃত্যুর কথা বললেও পুলিশের কাছে শুধু দুজন শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর রয়েছে।সিলেটে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, এই তিন ব্যবসায়ী ২০০৯ সাল থেকে টিলাটি কেটে চলেছেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কোম্পানীগঞ্জসহ ছয়টি উপজেলার পাহাড় ও টিলা কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরপরও এই তিন পাথর ব্যবসায়ী কী করে দীর্ঘদিন ধরে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছেন, তা বিস্ময়ের। তাঁরা প্রভাবশালী বলেই কি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা নীরব রয়েছে?তবে শুধু কোম্পানীগঞ্জেই নয়, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে টিলা কাটা চলছে। কেউ টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন, কেউ বাড়ি বানাচ্ছেন, কেউ বানাচ্ছেন মার্কেট। এভাবে আর কত দিন চলবে? এখনই যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে যেমন পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না, তেমনি ঠেকানো যাবে না মানুষের মৃত্যুও।সরকারকে এখনই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। কোম্পানীগঞ্জের ওই তিন পাথর ব্যবসায়ীসহ পাহাড় ও টিলা কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
286,892
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ অক্টোবর ২০১৬, ০২:০৪
২০ অক্টোবর ২০১৬, ০২:০৫
পাটগ্রাম,লালমনিরহাট,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
পাটগ্রামে এক ইউপির নির্বাচন স্থগিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1003753
৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বিলুপ্ত ছিটমহল সংযুক্ত বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সীমানা জটিলতার কারণে উচ্চ আদালত ওই ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করেন।গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্বাহী আদেশ পাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান।উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাউরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল হক বসুনিয়া সীমানা-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে একটি রিট আবেদন করেন উচ্চ আদালতে। এতে উচ্চ আদালতে বিচারপতি রেজাউল ইসলাম ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের যৌথ বেঞ্চ সীমানা-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি আমলে নিয়ে তিন মাসের জন্য ওই ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেন নির্বাচন কমিশনকে। পরে নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামানকে তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেন।রিট আবেদনে ওই ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন করা হয়।
257,598
কক্সবাজার প্রতিনিধি
entertainment
বিনোদন
২৫ মে ২০১৫, ০০:৩১
২৫ মে ২০১৫, ০০:৩২
বিনোদন,মঞ্চ
0
কক্সবাজারে সাত দিনের নাট্যোত্সব
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/536404
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের ‘কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে’ আজ সোমবার শুরু হচ্ছে সাত দিনব্যাপী নাট্যোত্সব। গ্রুপ থিয়েটার চর্চার অন্যতম নাট্য সংগঠন কক্সবাজার থিয়েটারের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকার আটটি নাট্যদল। উৎসব চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।আজ সন্ধ্যায় নাট্যোত্সবের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আখতারুজ্জামান, বিভাগীয় সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।কক্সবাজার থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তাপস রক্ষিত জানান, উদ্বোধনী দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মঞ্চস্থ হবে কক্সবাজার থিয়েটারের নাটক নীল সমুদ্রের ঝড়। এরপর ২৬ মে চট্টগ্রামের অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের নাটক কবি, ২৭ মে থিয়েটার আর্ট কক্সবাজারের প্রযোজনা বাঁধ ও বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব, ২৮ মে চট্টগ্রামের উত্তরাধিকারের নাটক মৃত্যু পাখি, ২৯ মে ঢাকার সময় নাট্যগোষ্ঠীর প্রযোজনা শেষ সংলাপ, ৩০ মে ঢাকার সংলাপ গ্রুপ থিয়েটারের নাটক বদনাম, ৩১ মে ঢাকার অবয়ব নাট্যদলের নাটক ফেরিওয়ালা এবং ঢাকার মুক্তমঞ্চ থিয়েটারের নাটক মেঘবালিকার মঞ্চায়ন হবে।
141,896
নাজনীন আখতার
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:১৬
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:২৭
-1
null
শিশুদের পাশে যখন শিশুরাই
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1078449
কতবেলের খোসা দিয়ে তৈরি মোমবাতির স্ট্যান্ড। খবরের কাগজ, পারফিউমের প্যাকেটে থাকা প্লাস্টিক, দাওয়াত কার্ড, ওয়ান টাইম প্লেট দিয়ে তৈরি কানের দুল, গলার মালা। গাড়ির ভাঙা কাচের টুকরার ওপর রং করে সাজানো হয়েছে ফটোফ্রেম। ডেস্ক ক্যালেন্ডার সুন্দর সুন্দর ফটোফ্রেম তৈরি করা হয়েছে। মেহগনির ছাল থেকে তৈরি হয়েছে লকেট। শ্যাম্পু, লোশনের পরিত্যক্ত বোতল প্রক্রিয়াজাত করে বানানো হয়েছে নানা ধরনের অলংকার।আশপাশের ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র কোমল হাতের ছোঁয়ায় এমন দৃষ্টিনন্দন রূপ পেয়েছে। কোনো জিনিসই যেন ফেলনা নয়। একনজর দেখলে যে কেউ মনে করতে পারেন, এসব কোনো দক্ষ কারিগরের তৈরি। আশ্চর্যের বিষয় ৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা এসব তৈরি করেছে দক্ষ একজন শিক্ষকের তদারকিতে। শুধু কাজটি শেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না এই শিশুরা। নিজেদের হাতের তৈরি জিনিসগুলো বিক্রি করছে। আর সেই অর্থ তুলে দিচ্ছে তারই সমবয়সী সুবিধাবঞ্চিত আরেক শিশুর হাতে।রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ৩ নম্বর সড়কে অবস্থিত চারুকানন নামের ছবি আঁকা ও কারুশিল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিশু সম্প্রতি এ ধরনের নানা পণ্য তৈরি করে বিক্রি করেছে। আর বিক্রি থেকে পাওয়া ২৫ হাজার টাকা তুলে দিচ্ছে রাজধানীর রায়েরবাজারে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য এনজিও পরিচালিত একটি স্কুলে। কাল শনিবার চারুকাননের শিশুরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ অর্থ তুলে দেবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে গড়া তহবিলে।চারুকাননের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক সুকন্যা আইন প্রথম আলোকে জানান, গত বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় ২০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে তাঁর ঝিগাতলার বাসায় আর্টক্যাম্প করেন। ওই সময়ে শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি, ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র থেকে তৈরি গয়না, কর্নার ল্যাম্প, শোপিস নিয়ে গত ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। প্রদর্শনী থেকে পাওয়া পুরোটা অর্থ তুলে দেওয়া হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের তহবিলে।সুকন্যা আইন বলেন, ‘প্রদর্শনীতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। শিশুদের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখে দর্শক-ক্রেতারা মুগ্ধ হয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, চারুকাননের এই প্রদর্শনী অন্য কোনো সাধারণ প্রদর্শনীর মতো শুধু ছবি আঁকা বা কারুশিল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে সুবিধাপ্রাপ্ত শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বের একধরনের সেতুবন্ধন তৈরি হতে পারে। এ ধরনের কাজ শিশুদের নিজেদের ছাড়াও অন্যের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে শেখায়।১৮ বছরের পুরোনো এই চারুকাননে পরিবারের নানা সমস্যায় প্রভাবিত শিশুদের বয়স অনুসারে আলাদাভাবে কাউন্সেলিং করা হয় বলেও তিনি জানান।চারুকাননে দুই সন্তানকে ছবি আঁকা ও কারুশিল্প শিখতে পাঠিয়েছেন ফারজানা তুহিন। তিনি জানালেন, তাঁর দুই মেয়ে ফারিজা তানভীর (১৫) ও সাবিহা তানভীর (৮) তিন বছর বয়স থেকে চারুকাননে শিখছে। বড় মেয়ে ধানমন্ডিতে সেন্ট জেভিয়ার্স গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। ছোট মেয়ে একই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।শিশুদের সৃজনশীলতার জন্য এ ধরনের শিক্ষা খুব জরুরি বলে মনে করেন ফারজানা তুহিন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘একক পরিবারগুলোতে শিশুরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে বড় হতে শেখে। আমরা পরিবার থেকে তাদের সেভাবে সময় দিতে পারি না। শেখাতে পারি না। আমার সন্তানদের ক্ষেত্রে দেখেছি, তারা এত বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বড় হচ্ছে যে, তাদের বয়সী অন্য এক শিশু যে মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হতে পারে সেটা তাদের ধারণাতেই ছিল না। এখন আমার সন্তানদের দেখি, তারা অন্যদের সঙ্গে সবকিছু ভাগাভাগি করে নিতে চায়। স্বাধীন চিন্তার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তার কাজ আরেক শিশুর উপকারে আসবে এটা ভাবতে তারা ভালোবাসে। আনন্দ নিয়ে কাজগুলো করে।’মায়ের কথায় যেন সায় দিয়ে আট বছরের ছোট্ট সাবিহা বলল, বিভিন্ন জিনিস দিয়ে গয়না বানাতে তার খুব ভালো লাগে। বেশি ভালো লাগে ছবি আঁকতে। তার আঁকা কয়েকটি ছবি বিক্রি হয়েছে।
292,098
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১৪
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১৫
সরকার
0
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে সরকার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/136683
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। তবে একটি চক্র কোথাও কোথাও গণমাধ্যমের মুখোশ পরে গুজব, মিথ্যাচার ও রাষ্ট্রদ্রোহী সংবাদ প্রচার করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করছে। সরকার সেসব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।গতকাল শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের হিল ডাউন সার্কিট হাউস সমেঞ্চলনকক্ষে কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সিএসএস সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২০১৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে সংবাদকর্মীদের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে।
48,106
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ মে ২০১৪, ০১:৪৩
০৮ মে ২০১৪, ০১:৪৫
হবিগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা
null
অবশেষে পরিচয় মিলল শিশুটির
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/210886
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর থেকে পাওয়া সেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুটির (১২) পরিচয় মিলেছে৷ তার নাম আরিফুল হক৷ গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জ আমলি আদালতে আরিফুলের সঙ্গে তার মা সাজু বেগমের দেখা হয়েছে৷এলাকার অনেকে জানান, গত ১৪ জানুয়ারি দিনারপুর এলাকার লোকজন আরিফুলকে পেয়ে গোপলার বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হস্তান্তর করেন৷ পরদিন পুলিশ হবিগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসে শিশুটিকে। আদালতের বিচারিক হাকিম রশিদ আহমেদ শিশুটিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেন। এত দিন শিশুটি এ কেন্দ্রেই ছিল।১৮ এপ্রিল ‘চার মাসেও মেলেনি শিশুটির পরিচয়’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর সূত্র ধরে ২২ এপ্রিল মৌলভীবাজারের জুড়ী সদর উপজেলার সাজু বেগম হবিগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-১-এর আদালতে আবেদন করেন। তিনি আদালতকে জানান, তিনি চট্টগ্রামে চাকরি করেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তাঁর ছেলে আরিফুল হারিয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বিচারক রশিদ আহমেদ চট্টগ্রাম ও জুড়ী থানাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। উভয় থানার তদন্ত প্রতিবেদন সাজু বেগমের পক্ষে যায়।পরে গতকাল বুধবার হবিগঞ্জ আমিল আদালত-৫-এ হাজির করা হয় শিশু আরিফুলকে। পাশাপাশি তার মা সাজু বেগমও হাজির হন। এ সময় আরিফুল মাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে৷
71,616
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৫৯
০৭ এপ্রিল ২০১৪, ০২:০০
রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,আইন ও বিচার
0
রাজশাহীতে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/186691
রাজশাহীতে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গতকাল রোববার খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদীর দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতির কারণে রাজশাহী মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক জয়ন্তী রানী দাস মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন।রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মামলাটি দায়ের করেছিলেন। গত ১ সেপ্টম্বর প্রথম আলোর শেষের পাতায় ‘সাংসদের ছেলেকে নিয়ে টিআর কাবিখা বণ্টনের অভিযোগ’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রথম পাতায় ‘এমপি মেরাজ মোল্লা নিজে কামাচ্ছেন সঙ্গে ছেলেরাও’ শীর্ষক শিরোনামে অপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।গত ৯ সেপ্টেম্বর মেরাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রথম আলো ও সমকাল-এর বিরুদ্ধে (৫০০/৫০১/৫০২/১০২ দ.বি.) মানহানির মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ ও সম্পাদক মতিউর রহমান এবং সমকাল-এর রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান শিবলী নোমান, প্রতিবেদক কাজী শাহেদ ও প্রকাশক এ কে আজাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।মামলায় সাক্ষী হিসাবে সাংসদ মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, তাঁর তিন ছেলে আবুল কালাম আজাদ, জালাল উদ্দিন মোল্লা ও মুস্তাক আহমেদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। প্রথম আলোর আইনজীবী শরৎচন্দ্র সরকার বলেন, এর আগের তারিখে বাদীর আইনজীবী শেষবারের মতো সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল রোববার বাদীর আইনজীবীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে আদালত মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন।
64,047
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
০১ জুলাই ২০১৬, ১৯:৩৬
০১ জুলাই ২০১৬, ১৯:৩৯
আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
ম্যারাডোনা অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন, মেসি ফিরবেন?
http://www.prothom-alo.com/sports/article/905224
অবসরের ঘোষণাটাই এসেছিল বড় চমক হয়ে। শতবার্ষিকী কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হারের পর মেসি বলে দিলেন, ‘জাতীয় দলে এটাই আমার শেষ।’ এরপর ডিয়েগো ম্যারাডোনা থেকে আর্জেন্টিনার প্রধানমন্ত্রী, অন্য খেলার তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সবার মুখে একটাই আর্তি, ফিরে এসো মেসি। বুয়েনস এইরেসে তাঁর মূর্তি উন্মোচিত হলো, টুইটারের ‘নো তে ভায়াস মেসি’ প্রচলনটা বুয়েনস এইরেসের বিমানবন্দরেও ২৪ ঘন্টা দেখানো হলো...মেসিকে ফেরাতে আর্জেন্টাইনদের চেষ্টার কমতি নেই। সেই চেষ্টায় আর্জেন্টিনা সফল হলে হয়তো দল-দেশ নির্বিশেষে ফুটবল বিশ্বই খুশি হবে। তর্কসাপেক্ষে বর্তমান সময়ের সেরা খেলোয়াড়, ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়টিকে ফুটবল প্রেমী মাত্রই দেখতে চাইবেন জাতীয় দলে। তবে মেসি ফিরলেও তিনিই আর্জেন্টিনার প্রথম অবসর ভেঙে ফেরা ‘বিখ্যাত নাম্বার ১০’ হবেন না। তাঁর আগে যে এই কীর্তি গড়ে গেছেন আরও একজন—স্বয়ং ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা! কী আশ্চর্য! বিদায় নেওয়ার ধরণটাও একই! এমনই বড় একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরে অবসর নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি, পরে আবারও দলের প্রয়োজনে গায়ে চাপিয়েছেন জাতীয় দলের জার্সি। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারার পর ম্যারাডোনার সেই কান্নার কথা হয়তো অনেকেই ভোলেননি। সেই হারের ক্ষত এতটাই পুড়িয়েছে ম্যারাডোনাকে, ম্যাচের পরই নাকি সাংবাদিকদের বলে দিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনার জার্সিতে আর নয়। অনেকটা মেসির বিদায় নেওয়ার ধরণের মতো। ম্যারাডোনার ঘোষণায় অবাক সাংবাদিকেরা ১৫ সেকেন্ড বিরতি দিয়ে আবারও জিজ্ঞেস করলেন, আসলেই কি আর কখনো আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলবেন না? তাতে ম্যারাডোনার উত্তর ছিল এমন, ‘না, আমার মনে হয় না।’সে সময় ম্যারাডোনার বয়স ছিল ৩০ বছর, মেসির এখনকার বয়সের চেয়ে ১ বছর কম। অবশ্য ততদিনে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ম্যারাডোনা কিংবদন্তি হয়ে গেছেন। একেবারেই বিদায় বললেও হয়তো কেউ ম্যারাডোনার সিদ্ধান্তকে প্রশ্নের মুখে ফেলত না। তবে আর্জেন্টিনার ফুটবল ঈশ্বর আবারও ফিরে এসেছিলেন। ১৯৯৩ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে (অবশ্য এর মধ্যে কোকেইন নেওয়ার দায়ে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞাও ছিল) আর্জেন্টিনার যখন দুরবস্থা চলছিল, প্লে অফ খেলতে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, তখন আবার ফিরে এসেছিলেন ম্যারাডোনা। দলকে তুলেছিলেন বিশ্বকাপে। শুধু কোকেইনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাদ দিয়ে মেসির ক্ষেত্রেও তেমন কিছুই চাইছেন ভক্তরা। সারাজীবন যাঁকে আদর্শ মেনে চলেছেন, ছোটবেলার সেই ‘হিরো’ কে এখানেও কি অনুসরণ করবেন আর্জেন্টিনার 'বিদায়ী' অধিনায়ক? বিশেষ করে ম্যারাডোনার মতো করে যেখানে দেশকে কিছু জেতানোও হয়নি এখনো। সূত্র: ফক্স স্পোর্টস।
237,320
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১৭ মার্চ ২০১৯, ০৯:৩৪
১৭ মার্চ ২০১৯, ১২:১৫
নিউজিল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়া
null
মসজিদে হামলায় ব্রেনটন ‘একাই’ জড়িত
http://www.prothom-alo.com/international/article/1583840
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলাকারী একজনই বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ। আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।দেশটির পুলিশের ভাষ্য, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেনটন টারান্ট (২৮) একাই দুটি হামলা চালিয়েছিলেন। হামলার ঘটনায় অন্য যাদের আটক করা হয়, তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে ধারণা করছে পুলিশ।গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলায় নিহত হন ৫০ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আল নুর মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর প্রথমে হামলা চালানো হয়। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়।আল নুর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিম করেন হামলাকারী ব্রেনটন। ওই মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য যাচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তাঁরা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় ব্রেনটনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে গতকাল শনিবার ক্রাইস্টচার্চ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, তাঁদের মতে, ব্রেনটন একাই দুটি হামলা চালিয়েছেন। ব্রেনটন ছাড়া আটক ব্যক্তিদের হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটা পুলিশের চূড়ান্ত মতামত নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।মাইক বুশ জানান, আল নুর ও লিনউড মসজিদে হামলায় হতাহত হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ করছে। তিনি বলেন, এটা খুবই সংবেদনশীল প্রক্রিয়া। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হচ্ছে।ব্রেনটনকে গতকাল যখন আদালতে হাজির করা হয়, তখন তাঁর পরনে ছিল বন্দীদের সাদা পোশাক। হাতে হাতকড়া। খালি পা। তিনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন। তাঁর মধ্যে কোনো অনুতাপ দেখা যায়নি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের নাম উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আরও কয়েকটি অভিযোগ আনার প্রস্তুতি চলছে।ব্রেনটনের অস্ত্র বহনের লাইসেন্স রয়েছে। তাঁর পাঁচটি অস্ত্র রয়েছে।পুলিশ কমিশনার জানান, ব্রেনটনকে সরাসরি হুমকি মনে করে থামানো হয়েছিল। পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে এই কাজ করেছে। আরও হামলার ঘটনা যেন না ঘটতে পারে, সে জন্য তারা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে হামলাকারীকে ঠেকিয়েছে। আরও হামলা প্রতিরোধ করা গেছে।পুলিশ কমিশনার বলেন, হামলার ঘটনায় শুধু একজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকে আটক দুজন জড়িত নন বলে মনে করা হচ্ছে। আটক এক নারীকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একজন তরুণের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরোধী মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণকে কাল সোমবার আদালতে হাজির করা হতে পারে। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে এর আগে কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার তথ্য নেই।
394,208
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ মে ২০১৫, ০১:০৪
০৩ মে ২০১৫, ০১:০৫
সিরাজগঞ্জ,বিশাল বাংলা,রাজশাহী বিভাগ,দুর্ঘটনা
0
সিরাজগঞ্জে আগুনে আটটি দোকান ও এক বাড়ি ভস্মীভূত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/517858
সিরাজগঞ্জে গত দুই দিনে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান ও একটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা দাবি করেছেন।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত শুক্রবার ভোর রাতের দিকে বজ্রপাতের কারণে মো. জিন্নাহর মার্কেটের একটি ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে একটি ওয়ার্কশপ, একটি আসবাবপত্রের দোকান, একটি সেলুনসহ দোকানের পেছনে একটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উল্লাপাড়ার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে দোকান ও বাড়ির মালামাল সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়। এতে ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়।এদিকে গতকাল শনিবার ভোররাতে সিরাজগঞ্জ শহরের চান্দ আলীর একটি দোকানে আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশের পাঁচটি দোকান পুড়ে যায়। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিকেরা।
136,049
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ২১:৩৭
০৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:০৭
রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,খবর
0
অস্ত্র কেড়ে নিয়ে দুই পুলিশকে পিটুনির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/418996
রাজশাহীতে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের দুই সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা তদন্তে গতকাল বৃহস্পতিবার চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত শাহ মখদুম থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট) শাহ গোলাম মাহমুদকে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন দাখিল করবেন।তদন্ত কমিটির প্রধান গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁদের মনে হচ্ছে, পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই দুই পুলিশ সদস্য মার খেয়েছেন।পুলিশ সূত্রটি আরও জানায়, ঘটনার দিন শাহমখদুম থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেন। এতে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতেই দায়িত্বে অবহেলার কারণে উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বুধবার তাঁকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার সময় জাহাঙ্গীর পুলিশের ওই টহল দলের দায়িত্বে ছিলেন। হামলাকারীদের সামনে পড়ে তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে যেদিক থেকে এসেছিলেন, সেই দিকেই চলে যান। ঢিলের আঘাতে তিনি সামান্য আহত হন। এ ছাড়া দুই পুলিশ সদস্য গাড়ি থেকে নেমে পড়লে তাঁদের বন্দুক কেড়ে নিয়ে নির্দয়ভাবে পেটানো হয়।শাহমখদুম থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আট শিবিরকর্মী মাসুদ রানা, মোস্তাফিজুর রহমান, রবিউল ইসলাম, নাইয়ার, জনি, রমজান, সোহেল রানা ও শাহীনুর ইসলামের বুধবার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার তাঁদের থানায় নেওয়া হবে। গতকাল পর্যন্ত এ মামলায় নতুন কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।গত মঙ্গলবার রাজশাহীতে হরতাল এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের দেশব্যাপী অবরোধ চলাকালে নগরের সপুরা এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের ওপরে একদল হামলাকারী নগরের মতিহার থানার ওই পুলিশ ভ্যানে হামলা চালায়। এ সময় কনস্টেবল আমজাদ ও শফিকুল ইসলাম গাড়ি থেকে নামলে হামলাকারীরা বন্দুক কেড়ে নিয়ে তাঁদের পিটিয়ে জখম করে।কনস্টেবল শফিকুল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। মাথায় গুরুতর জখম ছাড়াও তাঁর একটি হাত ভেঙে গেছে।
104,823
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৩৫
০৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৩৬
শেরপুর,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
শেরপুরে সেশন ফি ছাড়া মিলছে না পাঠ্যপুস্তক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/416485
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কানাইকান্দর উচ্চবিদ্যালয়ে সেশন ফির টাকা ছাড়া সরকারিভাবে বিতরণ করা পাঠ্যপুস্তক না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী চলতি শিক্ষাবর্ষের বই পায়নি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই বিদ্যালয়ের চাহিদাপত্র অনুসারে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৮৫ সেট পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হয়েছে।বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, তারা বিদ্যালয়ের নির্ধারিত সেশন ফির ৫০০ টাকা না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তাদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক শিক্ষকেরা তুলে দেননি। যারা এই টাকা পরিশোধ করেছে, শুধু সেই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হয়েছে।সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাগমারা গ্রামের সুবাস মাহাতো জানান, তিনি কষ্ট করে সেশন ফির টাকা দেওয়ার পর তাঁর সন্তানেরা বই পেয়েছে।হাতীগারা গ্রামের পলাশ তাঁতী জানান, তাঁর দুই ছেলেমেয়ে ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছে। এক হাজার টাকা না দেওয়ায় তাঁর ছেলেমেয়েকে বই দেওয়া হয়নি।ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা জানান, স্থানীয় আদিবাসী দিনমজুর পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। প্রতিদিন শ্রম বিক্রি করা টাকা দিয়ে তাঁদের পরিবারের খাবার জোটে। অনেক অভিভাবক সেশন ফির টাকা দিতে না পারায় তাঁদের সন্তানদের বই দেওয়া হয়নি।অভিযোগ অস্বীকার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে সেশনের নির্ধারিত ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, যারা গবির তাদের ক্ষেত্রে এই টাকা কম করে নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়েছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান জানান, পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সঙ্গে বিদ্যালয়ের সেশন ফির টাকা আদায়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের ঘটনা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘটালে তা সরকারি নির্দেশনার ঘোর বিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম সরোয়ার জাহান জানান, পাঠ্যপুস্তক বিতরণ নিয়ে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড ঘটে থাকলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
104,389
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ মার্চ ২০১৫, ০১:৫৯
০২ মার্চ ২০১৫, ০২:০০
-1
0
সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/465538
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সব ধরনের বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে গতকাল রোববার তিনি এ কথা বলেন।জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এ দুটি দেশের একত্রে কাজ করারও সুযোগ আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তাঁরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত শুরুতেই শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান।
119,670
রাসেল মাহমুদ
entertainment
বিনোদন
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৮
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:০৫
টালিউড,আনন্দ,সংগীত
null
জনপ্রিয়তার কোনো কারণ হয় না: অনুপম
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1574922
৪ জানুয়ারি কলকাতার নজরুল মঞ্চ মিলনায়তনের বাংলা উৎসবে গাইতে আসেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় শিল্পী অনুপম রায়। সাজঘরে আড্ডা হয় এ শিল্পীর সঙ্গে। এই ফিচারে ধরা রইল সেই আড্ডার খানিকটা নির্যাস।বাড়িয়ে দেওয়া হাত আলতো করে ধরলেন অনুপম রায়। ঠোঁটের কাছে এগিয়ে ধরলেন নিজের কান, আশপাশের নানা শব্দের ভিড়েও যেন শুনতে অসুবিধা না হয়। ‘প্রথম আলো? সেখান থেকে গত সপ্তাহেও ফোন পেয়েছি। কী বিষয়ে যেন মন্তব্য জানতে চাইল’, বললেন তিনি। মঞ্চে ওঠার আগে গল্প বা আড্ডার ধার দিয়ে হাঁটেন না শিল্পীরা। পাছে মনের পারদ চড়ে যায়! তাই বললেন, ‘গান করে ফিরি, তারপর কথা হবে।’গ্রিনরুম নামের ঘরটার গায়ে হলুদ রঙের চুন। ভেতরের চেয়ারগুলো সাদা কাপড়ে মোড়া। এক চেয়ারে অনুপম রায় বসে, পাশের চেয়ারে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো তাঁর গিটার। খানিক বাদেই ওটা হাতে মঞ্চে ওঠার জন্য প্রস্তুত তিনি। এরই মধ্যে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়েছে ফটোশিকারির দল। প্রযোজক ও অভিনেতা অরিন্দম শীল এসে বসেন শিল্পীর পাশে। নিচু স্বরে আলাপ সেরে চলে যান। আপ্যায়নের লোকেরা জানতে চান, কাটলেট চলবে কি না। মুহূর্তে চলে আসে সবজির কাটলেট। সাজঘরে ছিলেন বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই আমরা—অভিনেতা খন্দকার তাজমি নূর, কবি নওশাদ জামিল, চিত্রকর জাহাঙ্গীর আলম ও অনুপম রায়। ফেব্রুয়ারি মাসে আবারও ঢাকায় আসবেন অনুপম। বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে গান শোনাবেন।ভিডিও দেখে গান!বাংলাদেশের ছবি দেবীরজন্য অনুপম গেয়েছেন ‘দু মুঠো বিকেল’ গানটি। লিখেছেন ও সুর করেছেন। কীভাবে তৈরি হলো গানটি? ‘ভিডিও দেখে’, অনুপমের সোজাসাপ্টা উত্তর। কিন্তু কীভাবে? ‘এটাই আমাদের পেশা। দেবীরগানের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছিল, গানটা আগেই শুট হয়ে গিয়েছিল। সেটার একটা ফিক্সড টেম্পো ছিল। সেই টেম্পোর ওপর আমাকে গানটা তৈরি করতে হয়েছে। দৃশ্য যা ছিল, সেগুলো থেকে আমি যথেষ্ট অনুপ্রেরণা পেয়েছি। সব সময় কাজগুলো এ রকম হয় তা নয়। আগে গান তৈরি হয়, তারপর শুট হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হয়েছিল উল্টো। জিনিসটা মজার। আমার ভালোই লেগেছে।অনুপমের পছন্দ বাংলাদেশের গানবাংলাদেশের অনেক গান পছন্দ করেন অনুপম। বললেন, ‘অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের গান শুনছি। বাচ্চু ভাই থেকে শুরু করে, মাইলস, অর্ণব—এঁদের গানগুলো আমার খুব ভালো লাগে। বাংলাদেশের গানের সব থেকে যেটা ভালো লাগে, খুব সুন্দর সুর এগুলোর। খুব ইউনিক সুর, খুব ভালো লাগে।উৎসবে সাবধানঅনেক উৎসব হচ্ছে আজকাল। একে সুলক্ষণ বলে মনে করেন অনুপম রায়। তবে যেখানে অনেক শিল্পী গান করবেন, সেই উৎসবগুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হয়। বিশেষত লাইট, সাউন্ড সম্পৃক্ত জায়গাগুলোয়। শিল্পীর কাছ থেকে ভালো পরিবেশনা পেতে চাইলে এ জিনিসগুলোর দিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। যাঁরা শিল্পীদের এ চাহিদাগুলো ভালোভাবে জানেন, তাঁদেরই দায়িত্বগুলো দেওয়া ভালো।জনপ্রিয়তার কোনো কারণ হয় নাঅনুপমের গানগুলো কেন জনপ্রিয় হয়? অকারণে হয়, তা নয়। অনুপম মনে করেন, যদি কারণ থাকত, সেটা জেনে নিয়ে বারবার ওই গানগুলোই ঘুরেফিরে করতাম। তাহলে সব কটি গান জনপ্রিয় হয়ে যেত। আমরা জনপ্রিয় হওয়ার উপাদানটা জানি না। বছরে কুড়িটা গান করলে দুটো জনপ্রিয় হয় বা সেটাও হয় না। কিন্তু মানুষ ভালোবেসেছে, সেটা আমাদের ভাগ্য।টালিউডে ছবি করলেই অনুপমের গান?মানুষ পছন্দ করে বলেই হয়তো চায়। মানুষকে অনেক ধন্যবাদ। মানুষের রুচি পাল্টায়, সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থা পাল্টায়। তার মধ্যে কোথায় যেন আমার গান স্থান পেয়েছে। সে জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।
387,294
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জুলাই ২০১৫, ০১:৫৮
১০ জুলাই ২০১৫, ০১:৫৯
খবর,রাজধানী (জাতীয়)
0
দেশে বছরে ২০ লাখ মানুষ বাড়ছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/574392
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের জনসংখ্যা বছরে প্রায় ২০ লাখ বৃদ্ধি পায়। ছোট এই দেশের জন্য এটি বড় ধরনের চাপ। ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৭২ লাখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে এবার জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য: ‘নারী ও শিশু সবার আগে, বিপদে-দুর্যোগে প্রাধান্য পাবে’। দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশের প্রতি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় আলোচনা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
151,704
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
entertainment
বিনোদন
০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:১০
০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৪
চলচ্চিত্র
null
তিশা নয়, বুবলী
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1573315
বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল কাজী হায়াতের ‘বীর’ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা থাকবেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে তিশার সঙ্গে কথাও হয়েছিল। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে তিশা নয়, এই ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন বুবলী।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির দুজন প্রযোজকের একজন এমডি ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আমরা তিশাকেই এই ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে নিতে চেয়েছিলাম। গত মঙ্গলবার চূড়ান্ত মিটিং করেছি কিন্তু তিশার সঙ্গে সময় না মেলায় তাঁকে নিয়ে কাজটি করছি না। এখন বুবলীকে চূড়ান্ত করেছি। তিনি শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে বীর ছবিতে অভিনয় করবেন।’ছবির নায়ক শাকিব খান নিজেও এই ছবির আরেকজন প্রযোজক। তিনিও জানিয়েছেন, বুবলীই বীর ছবির নায়িকা। বিষয়টি নিয়ে তানজিন তিশার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এর আগে বিষয়টি নিয়ে ফোনে একাধিকবার আলাপ–আলোচনা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার প্রযোজকসহ আমরা বসেছিলাম কিন্তু সামনে আমার ভালোবাসা দিবসের একাধিক নাটকের শুটিং ও অস্ট্রেলিয়াতেও শুটিং করতে যাওয়ার কথা আছে। সবকিছু মিলিয়ে কাজটি করা হচ্ছে না।’১২ জানুয়ারি থেকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ‘বীর’ ছবির শুটিং শুরু হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি টানা চলবে এই শুটিং। প্রযোজক জানান, আগামী পয়লা বৈশাখে ‘বীর’ ছবিটি মুক্তির কথা আছে।
385,991
মাসুদ মিলাদ, চট্টগ্রাম
economy
অর্থনীতি
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:১৪
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:১৪
বিশ্লেষণ
0
পাঁচ ধাপ এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1313186
কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যায় বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দর, তালিকা তৈরিতে সেবার মান বিবেচনায় নেওয়া হয়নি কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যার হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে পাঁচ ধাপ এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দর এখন বিশ্বের ৭১তম অবস্থানে। ২০১৬ সালে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর সংখ্যা হিসাব করে এই অবস্থান নির্ধারণ করেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’। গত সোমবার বিশ্বের ১০০টি বন্দরের এই তালিকা প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি।এই ক্রমতালিকা শুধু কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যার হিসাব করে তৈরি করা হয়েছে, সেবার মান বিচার করা হয়নি। কনটেইনার পরিবহন বাড়ার সঙ্গে নতুন অবকাঠামো তৈরি না হওয়ায় সেবার মানে পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম বন্দর। কার্যত বিকল্প বন্দর না থাকায় এই বন্দর ছাড়া কনটেইনার পরিবহনের সেবা নেওয়ার বিকল্প মাধ্যমও নেই ব্যবহারকারীদের হাতে।লয়েডস লিস্টের তালিকা অনুযায়ী, সেরা ১০০ বন্দরের তালিকায় শীর্ষস্থানে চীনের সাংহাই বন্দর। গত বছর এই বন্দর দিয়ে ৩ কোটি ৭১ লাখ কনটেইনার পরিবহন করা হয়। চীনের ২০টি বন্দর রয়েছে এই তালিকায়। ২০১০ সালে শীর্ষস্থান হারানোর পর সিঙ্গাপুর বন্দর যথারীতি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের তিনটি এবং পাকিস্তানের করাচি বন্দর স্থান পেয়েছে তালিকায়। পাকিস্তানের করাচি বন্দর তিন ধাপ এগিয়ে ৭৭তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। এরপরও করাচির চেয়ে ছয় ধাপ এগিয়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দর।জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার কারণে বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহন বাড়ছে। এর ফলে এবার পাঁচ ধাপ এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। কনটেইনার পরিবহন বাড়তে থাকায় এখন বন্দরে ৯-১০টি থেকে বাড়িয়ে একসঙ্গে ১১টি জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কাজও শুরু হচ্ছে, যেখানে একসঙ্গে তিনটি জাহাজ ভেড়ানো যাবে।লয়েডস লিস্ট বলছে, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ একক কনটেইনার পরিবহন করা হয়; যা আগের বছরের (২০১৫) চেয়ে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। গত বছর প্রকাশিত তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৭৬তম। নতুন তালিকায় তা ৭১-এ উন্নীত হয়েছে। গত পাঁচ বছরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের ব্যবধানে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। এ হিসাবে গড়ে ১৩ শতাংশ হারে বাড়ছে কনটেইনার পরিবহন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়ায় এই বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহনও নিয়মিত বাড়ছে। গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে দেশে শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। শিল্প ও সেবা খাত পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনিবার্যভাবে এই বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহন বাড়ছে।তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর বন্দর ও জাহাজীকরণবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যায় বন্দর এগিয়ে যাওয়া খুশির খবর। তবে সেবার মানের সঙ্গে এটি এক করে দেখার সুযোগ নেই। দেশের একমাত্র বন্দর হওয়ায় এই বন্দর দিয়ে সামনেও কনটেইনার পরিবহন আরও বাড়বে। এ জন্য সেবার মান বাড়াতে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। বহির্নোঙরে জাহাজজট কমাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যায় সেরা ১০০ বন্দরের তালিকা ২০০৭ সাল থেকে প্রথম প্রকাশ করে ‘কার্গো সিস্টেমস’ অনলাইন পত্রিকা। এরপর অনলাইনভিত্তিক পত্রিকা ‘কনটেইনারাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল’ অধিগ্রহণ করে কার্গো সিস্টেমস অনলাইনকে। ২০১২ সালে লয়েডস লিস্ট অধিগ্রহণ করে কনটেইনারাইজেশন ইন্টারন্যাশনালকে। এরপর থেকেই নিয়মিতই এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি।লয়েডস লিস্টের তালিকা অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বের সেরা ১০০টি বন্দর দিয়ে ৫৫ কোটি ৪৯ লাখ কনটেইনার পরিবহন করা হয়েছে। এর মধ্যে চীনের ২০টি বন্দর দিয়ে পরিবহন করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ২০ কোটি ২৮ লাখ কনটেইনার। দেশ হিসাবে এর পরের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের, ৩ কোটি ৮৩ লাখ কনটেইনার পরিবহন করা হয়েছে দেশটির ৯টি বন্দর দিয়ে। এক কোটির বেশি কনটেইনার পরিবহন করা হয় এমন বন্দরের সংখ্যা ১৪টি।ওয়ার্ল্ড পোর্ট সোর্স ওয়েব পোর্টাল অনুযায়ী, বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ৪ হাজার ৯৩৬টি বন্দর রয়েছে। তবে কনটেইনার পরিবহন করা হয় এমন বন্দরের সংখ্যা প্রায় ৫০০টি।
336,760
ফেতুল্লা গুলেন
opinion
মতামত
২৯ জুলাই ২০১৬, ০০:৪০
২৯ জুলাই ২০১৬, ০০:৪১
আন্তর্জাতিক,মতামত
null
তুরস্কে গণতন্ত্র টিকে থাকুক
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/928645
এ মাসে যখন তুরস্কে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হলো, তখন আমি খুব কঠোরভাবে এর সমালোচনা করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হয়, বলপ্রয়োগ করে নয়। তুরস্কের জন্য আমি দোয়া করেছি, তুরস্কের জনগণ ও যারা এ মুহূর্তে তুরস্কে আছে তাদের জন্যও, যাতে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতির সমাধান করা যায়।’তুরস্কের তিনটি প্রধান বিরোধী দলের মতো আমিও দ্ব্যর্থহীনভাবে অভ্যুত্থানচেষ্টার সমালোচনা করেছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সঙ্গে সঙ্গে আমাকে অভিযুক্ত করলেন, আমি নাকি এই অভ্যুত্থানচেষ্টার নায়ক। তিনি দাবি করলেন, যুক্তরাষ্ট্র যাতে আমাকে পেনসিলভানিয়ার বাড়ি থেকে বের করে দেয়, যেখানে ১৯৯৯ সাল থেকে আমি স্বেচ্ছানির্বাসনে আছি।এরদোয়ানের সঙ্গে আমার বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভুল কথা বলছেন। আমার দর্শন সশস্ত্র বিদ্রোহের বিরুদ্ধে। আমি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী ইসলামের কথা বলি। আজ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি হিজমত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই হিজমত হচ্ছে সেবার তুর্কি প্রতিশব্দ। এই হিজমত আন্দোলন জনগণের সমর্থনপুষ্ট সরকারের কথা বলে, যারা সব ধর্ম, রাজনৈতিক মত ও নৃগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের পক্ষপাতী। হিজমতের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত উদ্যোক্তা ও স্বেচ্ছাসেবীরা ১৫০টিরও বেশি দেশে শিক্ষা ও সমাজসেবায় বিনিয়োগ করেছে।পাশ্চাত্য গণতন্ত্র যখন মধ্যপন্থী মুসলিম শক্তির খোঁজ করছিল, তখন আমি ও আমার হিজমত বন্ধুরা চরমপন্থীদের সহিংসতার বিরুদ্ধে পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছিলাম। সেই ৯/১১-এ আল-কায়েদার সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে বোকো হারামের অপহরণ—আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদেরই বিরোধিতা করেছি। সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করা ছাড়াও আমরা মুসলিম তরুণদের এতে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। একই সঙ্গে আমরা শান্তিকামী ও বহুত্ববাদী মন গড়ে তোলায় জোর দিই।আমি সারা জীবন ধরেই অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছি। বস্তুত বহু বছর ধরে আমি গণতন্ত্রের দাবি করে আসছি। তুরস্কে গত চার দশকে চারটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে, আমি নিজেও যার নিপীড়নের শিকার হয়েছি, ফলে আমি চাই না, তুরস্কের নাগরিকেরা আবারও সেই দুর্দশা সহ্য করুক। হিজমতের কোনো সদস্য যদি অভ্যুত্থানচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তিনি আমার চিন্তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আর এরদোয়ান যে আমার দিকে আঙুল তুলেছেন, তাতে কিন্তু বিস্ময়ের কিছু নেই। তিনি আমার সম্পর্কে কী বলেছেন, সেটা কোনো সমস্যা নয়। তাঁর কর্মকাণ্ডে বোঝা যায়, তিনি ক্রমেই এক ব্যক্তির শাসনের দিকে এগোচ্ছেন।তুরস্কের অন্য নাগরিকদের মতো হিজমত আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরাও এরদোয়ানের প্রাথমিক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন: গণতন্ত্রায়ণ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্তির শর্ত পূরণ। কিন্তু তিনি যখন গণতন্ত্র থেকে একনায়কত্বের দিকে হাঁটা শুরু করেন, তখন আমরা নিশ্চুপ থাকিনি। তিনি অযৌক্তিকভাবে সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি হাজার হাজার বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ কর্মকর্তা ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের পদচ্যুত করেছেন। তিনি বিশেষ করে কুর্দিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। এরদোয়ান তাঁর নিন্দুকদের রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।হিজমত প্রেসিডেন্টের কোপানলে পড়েছে। ২০১৩ সালে এরদোয়ান তুর্কি আমলাতন্ত্রের মধ্যে হিজমতের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের দিকে তোপ দাগেন। কারণ, তাঁরা মন্ত্রী ও এরদোয়ানের অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অভিযুক্ত করে এক তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। ফলে বিচার বিভাগ ও পুলিশ বাহিনীর বহু সদস্যকে স্রেফ দায়িত্ব পালনের কারণে বিতাড়ন ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।এরদোয়ান যখন ২০১৪ সালে ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন, তখন তিনি তুরস্ককে সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে ‘এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্সি’তে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেন, যেখানে তাঁর ক্ষমতা চ্যালেঞ্জহীন থাকবে। কদিন আগেই তিনি বলেছেন, অভ্যুত্থানটা ছিল আসলে ‘আল্লাহর উপহার’, কথাটা খুবই বিপজ্জনক। কারণ, তিনি এই সুযোগে সরকারি সংস্থাগুলো থেকে ভিন্নমতাবলম্বীদের আরও বেশি করে বিতাড়ন করতে চান: এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি হিজমত ও অন্যান্য নাগরিক সংগঠনের ওপরও হামলে পড়তে চান। বন্দিশিবিরগুলোতে বন্দীদের ওপর ধর্ষণসহ নানা রকম নির্যাতন করা হচ্ছে। ফলে এরদোয়ানের সরকার যে ইউরোপিয়ান কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করেছে, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই।প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আবার আইএসবিরোধী আন্তর্জাতিক জোটে তাঁর দেশের সমর্থন কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্ল্যাকমেল করছেন। আমাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়ানোই তাঁর লক্ষ্য, যদিও আমার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই। এরদোয়ান যা চান সেটা তাঁকে দেওয়ার একটা প্রলোভন আছে, যার কারণটা বোধগম্য। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে সেই লোভ সংবরণ করতে হবে। তুরস্কে যে এরদোয়ানের সরকার একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, তাতে দেশটির জনগণ গোত্রে-গোত্রে, দলে-দলে, ধর্মে-ধর্মে, জাতিতে-জাতিতে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। এতে গোঁড়া মানুষদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে।ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ে শান্তি পুনরুদ্ধারে ও মধ্যপ্রাচ্যের গণতন্ত্র সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে এরদোয়ানের মতো একজন একনায়ককে পাত্তা না দেওয়া, যিনি তাঁর বিরুদ্ধে পরিচালিত এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে পরিণত করছেন, যার নেতা স্বয়ং তিনি।অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া।ফেতুল্লা গুলেন: মার্কিন প্রবাসী তুর্কি ধর্মীয় নেতা।
244,577
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
০২ জুন ২০১৫, ০১:৩০
০২ জুন ২০১৫, ০১:৩২
বিনোদন,চলচ্চিত্র
null
সুস্থ হয়ে শুটিংয়ে শাকিব খান
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/543532
হঠাৎ অসুস্থ। তারপর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ছিলেন তিন দিন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঢাকায় ফিরলেন পরশু রাতে। এর পরদিনই অংশ নিলেন নতুন ছবি সম্রাট—দ্য কিং ইজ হেয়ার-এর প্রথম দিনের শুটিংয়ে। গতকাল সোমবার দুপুরে এফডিসির ৩ নম্বর ফ্লোরে ছবির টাইটেল গানের দৃশ্যায়ন দিয়েই শুরু হয় শুটিং। শুটিংয়ে শাকিব খানের সঙ্গে ছিলেন অপু বিশ্বাস।শুটিং শুরুর আগে ছিল ছবির মহরত। শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন নিলয় মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোছাব্বির আহমেদ, চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, মনতাজুর রহমান আকবর, সোহেল আরমান, এস এ হক অলীক, শিমুল খান, সংগীতশিল্পী ইমরান, ভারতের নৃত্যশিল্পী শিবরাম প্রমুখ।মহরত অনুষ্ঠানে শাকিব খান সম্রাট—দ্য কিং ইজ হেয়ার-এর গল্প ও আয়োজন নিয়ে প্রশংসা করে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমরা যদি ঠিকমতো কাজটি শেষ করতে পারি, তাহলে এটা হবে এ বছরের সেরা ছবি।’পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ জানান, ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে প্রথম ভাগের শুটিং।
144,098
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৮
০১ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৯
সোনারগাঁ,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
সোনারগাঁয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ আহত ২০
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/62608
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার গোয়ালপাড়া এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ২০ জন আহত হন।উপজেলার বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যপদে নির্বাচনে এক প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গোয়ালপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য পদপ্রার্থী ও চেঙ্গাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা পনির মুন্সীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন অপর প্রার্থী ও গোয়ালপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার লোকজন। এর জের ধরে গতকাল সকাল নয়টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। তাঁরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় স্থানীয় শান্তির বাজার হাটে উভয় পক্ষের ১০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে সোনারগাঁ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান খান জানান, উভয় পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দুই পক্ষের লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।
24,483
মহিউদ্দিন, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫০
০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১১
নির্বাচন,নির্বাচনী ইশতেহার,রাজনীতি,বিএনপি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
null
পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1568055
• ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের খসড়া প্রস্তুত• বড় ধরনের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি আছে • চূড়ান্ত করতে আজ স্টিয়ারিং কমিটিতে যাবে• নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান• সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা তুলে দেওয়া• দুর্নীতির বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনক্ষমতায় গেলে একই ব্যক্তি যাতে পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, সে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ ছাড়া নিম্ন আদালত পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের অধীন করা, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সাংসদদের ভেটো ক্ষমতা প্রদান, নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি ও নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত সব দলের জন্য রাষ্ট্রের মালিকানা নিশ্চিত করার আশ্বাসসহ বড় ধরনের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি থাকছে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে।ঐক্যফ্রন্ট সূত্র জানায়, ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্যের একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ইশতেহার কমিটি কয়েক দফা আলোচনা করে ইতিমধ্যে একটি খসড়া তৈরি করেছে। আজ সোমবার খসড়া চূড়ান্ত করে স্টিয়ারিং কমিটির কাছে পাঠাবে এ কমিটি। শীর্ষ নেতাদের সম্মতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।খসড়া ইশতেহারে বলা হয়েছে, মুঠোফোনে ইন্টারনেটের খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। দেশের বিভিন্ন গণজমায়েতের স্থানে ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর যেকোনো রকম হামলার বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ জেলাগুলোতে শিল্পায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং অন্যান্য সব সরঞ্জাম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কেনা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। শহরে গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবহন নীতি প্রণয়ন করা হবে।ক্ষমতার ভারসাম্যইশতেহারে বলা হয়, পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না। অনাস্থা ভোট এবং অর্থবিল ছাড়া অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে দলীয় সাংসদ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও তাঁদের সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে না, এমন সংশোধনী ৭০ অনুচ্ছেদে আনা হবে। সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করে বিভিন্ন দলের সদস্যসংখ্যা নির্ধারণে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে।মতপ্রকাশের স্বাধীনতাক্ষমতায় এলে নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে ঐক্যফ্রন্ট। সরকারি পদক্ষেপ এবং সরকারের পদধারীদের বিরুদ্ধে সমালোচনা, এমনকি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপেরও অধিকার থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব গণমাধ্যমের ওপর কোনো রকম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।গুম, খুন, পুলিশি নির্যাতন বন্ধবিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুম পুরোপুরি বন্ধ করবে ঐক্যফ্রন্ট। রিমান্ডের নামে পুলিশি হেফাজতে যেকোনো প্রকার শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করা হবে। সাদাপোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। বিপথগামী রাজনৈতিক কর্মীদের হাত থেকেও নাগরিকগণ সুরক্ষিত থাকবে।চাকরির বয়সসীমা থাকবে নাসোয়া দুই কোটি তরুণ ভোটারের মন জয় করতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির বড় পরিকল্পনা নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা রাখবে না তারা। অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা চালু করা হবে। ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকারের জন্য বেকার ভাতা চালু করা হবে। তিন বছরের মধ্যে সব সরকারি শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।দুর্নীতির বিচারে ট্রাইব্যুনালন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে এবং সংবিধান-নির্দেশিত সব দায়িত্ব পালনে ন্যায়পালকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা থাকছে ইশতেহারে। খসড়ায় বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারে সরকারের অনুমতির বিধান (সরকারি চাকরি আইন-২০১৮) বাতিল করা হবে। ব্যাংকিং খাতে ও শেয়ারবাজারে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পিএসসি-জেএসসি বাতিলপিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা এবং সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি থাকছে ইশতেহারে। প্রথম বছর থেকেই ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত, বেসরকারি শিক্ষা পুরোপুরি ভ্যাটমুক্ত এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা দিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থান করা হবে।কৃষক-শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্যঐক্যফ্রন্ট সরকারের দায়িত্ব পেলে সব খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং গার্মেন্টসসহ অন্য সব শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা, কৃষি ভর্তুকি বাড়িয়ে সার বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা হবে।অতিদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনা মূল্যে খাদ্য বিতরণ এবং বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। বয়স্ক ভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতার পরিমাণ এবং আওতা বাড়ানো হবে। শ্রমিক-খেতমজুরসহ গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ মূল্যে রেশনিং চালু করা হবে।দায়িত্বপ্রাপ্তির এক বছরের মধ্যে মানুষকে ভেজাল ও রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও থাকছে ইশতেহারে।নারীর ক্ষমতায়ননারীর জন্য সংরক্ষিত আসনের প্রথার পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারীর জন্য বাধ্যতামূলক ২০ শতাংশ মনোনয়নের বিধান করা হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। ইউরোপ, জাপানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শ্রমশক্তির রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করা হবে।ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার কমিটিতে আছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির পক্ষে মাহফুজ উল্লাহ, গণফোরামের আ ও ম শফিক উল্লাহ, জেএসডির শহীদ উদ্দিন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দিকী ও নাগরিক ঐক্যের জাহেদ উর রহমান।জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই ইশতেহার তৈরি করা হচ্ছে। সংবিধান সংশোধনসহ অনেক সংস্কার প্রস্তাব থাকছে। খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
384,730
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১২ জুলাই ২০১৮, ১৪:৪৭
০৪ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০৪
ফুটবল,ইংল্যান্ড,ক্রোয়েশিয়া,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮,বিশ্বকাপের তারা
null
হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া গেল না হ্যারি কেইনকে!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1531073
ফুটবল মাঠে এখন কত ধরনের প্রযুক্তিরই না ব্যবহার হয়। এসবের সাহায্য নিয়ে চলে খেলার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ। প্রযুক্তি-সাহায্য নিয়ে প্রথম আলো ডিজিটালও বিশ্বকাপের বড় ও আলোচিত ম্যাচগুলো বিশ্লেষণ করে দেখছে। নতুন ধারাবাহিক ‘প্রযুক্তির চোখে’র চতুর্দশ পর্বে থাকছে ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের বিশ্লেষণ। লিখেছেন নিশাত আহমেদহ্যারি কেইন জ্বলে উঠলে জ্বলে ওঠে ইংল্যান্ড। কেইন নিষ্প্রভ থাকলে নিষ্প্রভ থাকে দলও। এই অমোঘ সত্যটাই কাল আবারও যেন মাঠ ফুঁড়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল! ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে নেমে ইংল্যান্ড ফাইনালের পথে উঠতে পারেনি। ‘হারিকেন’ না জ্বললে পথ চিনবে কীভাবে!কিয়েরান ট্রিপিয়েরের গোলে ইংল্যান্ড প্রথমার্ধে এগিয়ে গেলেও পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ইভান পেরিসিচ আর অতিরিক্ত সময়ে মারিও মানজুকিচের গোলে তুলে নেওয়া জয়ে ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করতে পারেননি হ্যারি কেইন। প্রায় একই উচ্চারণ বলে অনেকেই তাঁকে ‘হারিকেন’ নামে ডেকে থাকেন। কিন্তু এই কেইনকে কাল মাঠে সত্যিকারের ‘হারিকেন’ জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি!কেইন কেন নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন? দায়টা বর্তাতে পারে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের ওপর। হ্যারি কেইন যে জায়গায় খেলে বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেখানে কেইনকে সাউথগেট খেলতে দিলেন কই?অথচ এই কেইন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ভীতিজাগানিয়া ‘নাম্বার নাইন’। বক্সের মধ্যে তাঁর মতো চতুর গোলশিকারি নেই বললেই চলে। সেই কেইনকে সাউথগেট একটু নিচে খেলিয়েছেন। অনেকটা আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারের ভূমিকায়। আর ৩-৫-২ ছকে কেইনের পাশে আরেক স্ট্রাইকার হিসেবে খেলা স্টার্লিংকে খেলিয়েছেন একটু ওপরে। অর্থাৎ কেইনই তাঁর সহজাত পজিশন ও খেলার ধরন বদলে স্টার্লিংয়ের জন্য একটু নিচে নেমে খেলেছেন, আর স্টার্লিং খেলেছেন কেইনের জায়গায়।সাউথগেট জানতেন, তাঁর মিডফিল্ডারদের পক্ষে এই ৩-৫-২ ছকে মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগে নিয়মিত সংযোগ ঘটানো সম্ভব না। তাই কেইনকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন এই কাজটা করার জন্য, কেননা বল পায়ে সতীর্থদের সঙ্গে আক্রমণ রচনা করার ক্ষমতা স্টার্লিংয়ের থেকে কেইনের বেশি। ফলে বক্সের মধ্যে কেইনের সহজাত ক্ষিপ্রতা, দুর্দান্ত ফিনিশিংগুলোর অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ইংল্যান্ড। ওদিকে স্টার্লিং বক্সের মধ্যে কেইনের মতো অতটা চতুর কখনোই ছিলেন না, গতিসর্বস্ব স্টার্লিংকে সামলাতে তাই একদমই বেগ পেতে হয়নি ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডারদের। হ্যারি কেইনের হিটম্যাপ আর টাচম্যাপ দেখলেই বুঝতে পারবেন তিনি সাধারণত যে পজিশনে খেলেন, তাঁর থেকে বেশ নিচে নেমে খেলেছেন—যথারীতি দুর্দান্ত খেলেছেন ইংলিশ রাইটব্যাক কিয়েরান ট্রিপিয়ের, ইংল্যান্ডের আক্রমণের ডান দিকটা সম্পূর্ণরূপে ট্রিপিয়ের-নির্ভর ছিল, ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র গোলটাও করেছেন তিনিই! দেখে নিন গোলটা -&nbspওদিকে প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠেন মদরিচ-পেরিসিচ-মানজুকিচরা। দ্বিতীয়ার্ধ থেকে একদম ম্যাচের শেষ পর্যন্ত মিডফিল্ডের লাগাম ধরে রেখেছিলেন লুকা মদরিচ আর ইভান রাকিতিচরা। আর মিডফিল্ডে তাঁদের ভালো খেলার সুফল পেয়েছেন ইভান পেরিসিচ ও মারিও মানজুকিচ। পুরো ম্যাচে গোল বরাবর সাতটা শট নিয়েছেন পেরিসিচ! সমতাসূচক গোলটাও এসেছে তাঁর কাছ থেকেই।পেরিসিচ-মানজুকিচ-মদরিচ-রাকিতিচ—উদ্যমী এই ‘চতুষ্টয়’কে সামলানোর ক্ষমতা ইংল্যান্ডের সীমিত প্রতিভার সৈনিকদের ছিল না। হ্যারি কেইনেরও তাই কালকে জ্বলে ওঠা হলো না!
370,197
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ মার্চ ২০১৪, ০০:৪৫
০১ মার্চ ২০১৪, ০০:৪৭
পার্বতীপুর,দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
স্থানীয়দের চাকরির দাবিতে সমাবেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/158020
দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে খনি এলাকার চার গ্রামের লোকজন সমাবেশ করেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় খনির পাশের মধ্যশিলা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশ করেন তাঁরা।সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনি বাস্তবায়িত করতে গিয়ে স্থানীয় বহু লোকের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। অথচ এসব লোক যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাননি। এমনকি বেলারুশের নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) খনির দায়িত্ব পাওয়ার পর গত জানুয়ারিতে নতুন করে প্রায় ৬০০ শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ শ্রমিক নেওয়া হলেও স্থানীয় লোকদের কাউকে নেওয়া হয়নি। বর্তমান নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় অবিলম্বে স্থানীয় ব্যক্তিদের যুক্ত করার আশ্বাস না পেলে খনি এলাকায় লাগাতার হরতাল ও অবোরধ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বক্তারা হুঁশিয়ার করেন।বিদ্যালয়ের মাঠে সন্ধ্যায় মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান শাহ, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধ্যপাড়া অধিকার রক্ষা কমিটির নেতারা একই দাবিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ও পার্বতীপুরের ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি দেন।
55,026
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৯:১৩
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৯:৪৮
অপরাধ
0
রায়পুরে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/775411
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আজ শনিবার দুপুরে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রায়পুর থানার পুলিশ জানায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নে একটি সুপারি বাগানে মস্তকবিহীন লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রায়পুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, পরিকল্পিতভাবে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা ও বিচ্ছিন্ন মাথার সন্ধানের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
203,315
হাসান ফেরদৌস, যুক্তরাষ্ট্র
international
আন্তর্জাতিক
৩০ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৯
৩০ অক্টোবর ২০১৬, ০১:২০
যুক্তরাষ্ট্র
null
হঠাৎ কেন ই–মেইল তদন্ত, ব্যাখ্যা চান হিলারি
http://www.prothom-alo.com/international/article/1010511
হঠাৎ ফাটানো এফবিআইয়ের বোমায় কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। সংস্থাটি তাঁর ই-মেইল বিতর্ক নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আত্মবিশ্বাসী হিলারি জানিয়েছেন, যতই তদন্ত করা হোক, খারাপ কিছুই পাওয়া যাবে না। বরং ভোটের মাত্র ১০ দিন আগে এমন একটি সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন এফবিআইয়ের কাছে।হিলারির বিরুদ্ধে অভিযোগ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করেন। ভোটের প্রচারে নামার পর এ পর্যন্ত হিলারিকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে তাঁর একসময়কার এই ভুল।প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে সব দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও এফবিআইয়ের এই ঘোষণা হিলারিকে আবার বেশ বিপাকে ফেলবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। যদিও তিনি বলেছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি, সেটা দেশের মানুষ জানে। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে কাকে ভোট দেবে।তবে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগের মুখে ডুবতে থাকা ট্রাম্প এফবিআইয়ের সরবরাহ করা নতুন রসদ লুফে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগে না পারলেও এবার সাহস করে ঠিক কাজটিই করেছে এফবিআই।মার্কিন কেন্দ্রেীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান জেমস কোমি গত শুক্রবার বলেন, হিলারি সরকারি সার্ভারের বদলে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহারের সময় কোনো ‘গোপনীয়’ তথ্য চালাচালি করেছিলেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছেন। এ বছরের জুলাই মাসে তিনি কংগ্রেসকে জানিয়েছিলেন, এ নিয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে কোনো বেআইনি কাজের প্রমাণ মেলেনি, সে কারণে তিনি তদন্ত শেষের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন মার্কিন কংগ্রেসের নেতাদের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি তদন্তকাজ পরিচালনার সময় তাঁরা এমন তথ্যের সন্ধান পেয়েছেন, যা ক্লিনটনের ই-মেইল তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। সে কারণে এই তদন্ত নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।গণামধ্যমের খবর অনুযায়ী, যৌন কেলেঙ্কারির জন্য অভিযুক্ত সাবেক কংগ্রেসম্যান এন্থনি উইনারের ঘরে কম্পিউটারে তল্লাশি চালানোর সময় এফবিআই এসব সন্দেহজনক ই-মেইলের খোঁজ পায়। উইনারের সাবেক স্ত্রী হুমা আবেদিন হিলারি ক্লিনটনের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারী। মাস খানেক আগে তদন্তের সময় এফবিআই উইনারের কম্পিউটারে হুমা আবেদিনের কয়েক হাজার ই-মেইলের সন্ধান পায়। এফবিআইয়ের অনুসন্ধান এখন এসব ই-মেইলের ওপরেই নিবদ্ধ।এসব ই-মেইলে ‘গোপনীয়’ কোনো তথ্য রয়েছে, কোমির চিঠিতে সে কথা বলা হয়নি। নতুন ই-মেইল পাওয়া গেছে, সে কথা তিনি না জানালে তথ্যমাধ্যম তা ফাঁস করে দেবে, তখন অভিযোগ উঠবে তিনি সত্য গোপন করছেন। এই অভিযোগ এড়াতেই তিনি কংগ্রেসের সদস্যদের কাছে তাঁর তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছেন।কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন আগে এফবিআই প্রধানের এমন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত—হিলারির প্রচার শিবির থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারা বলেছে, অধিকাংশ জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা হিলারিকে ঠেকানোর জন্য এবং ট্রাম্পকে সাহায্য করার লক্ষ্যেই এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোমি।হিলারি নিজেও কঠোর ভাষায় এফবিআইয়ের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। আইওয়াতে নির্বাচনী সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ কথা জানানো হলো এমন এক সময়ে, যখন সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আগাম ভোট গ্রহণ চলছে। এফবিআইয়ের তাই উচিত হবে অবিলম্বে এ-সংক্রান্ত সব তথ্য দেশবাসীকে জানানো। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো সব তথ্য জানতে পারিনি। এফবিআইয়ের প্রধান নিজেও বলেছেন, এসব তথ্য অর্থপূর্ণ হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। সে জন্য আমরা দাবি করছি, সব তথ্য পরিষ্কার করে জানানো হোক।’হিলারি অবশ্য এ আস্থা ব্যক্ত করেন যে অধিকাংশ মানুষ ই-মেইলের বিষয়টি পুরোপুরি জানে, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তারা ইতিমধ্যে কাকে ভোট দেবে, সে সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছে।হিলারির প্রচার ব্যবস্থাপক জন পডেস্টা বলেছেন, নির্বাচনের এত কাছে এসে হঠাৎ এমন একটা ঘটনা ঠিক স্বাভাবিক মনে হয় না। সব তথ্য অবিলম্বে প্রকাশের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই মাসে এফবিআই তার তদন্ত শেষে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল, এবারও তা থেকে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে না, সে ব্যাপারে তাঁরা সম্পূর্ণ আস্থাবান।তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকান নেতৃত্ব কোমির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। হিলারির বিরুদ্ধে এই তদন্ত জুলাইতে বন্ধ ঘোষণার পর ট্রাম্প কঠোর ভাষায় এফবিআইয়ের সমালোচনা করেছিলেন। তবে কোমির নতুন ঘোষণার পর ট্রাম্পের সুর বদলে গেছে। শুক্রবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে এক নির্বাচনী সভার আগে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এফবিআই একসময় যে ভুল করেছিল, এখন তা শোধরানোর সুযোগ পেয়েছে। এবার তারা যথাযথভাবে তদন্ত পরিচালনা করবে, এ ব্যাপারে তাঁর আস্থা আছে। ট্রাম্প এ ঘটনাকে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির চেয়েও বড় বলে বর্ণনা করেন। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির জন্য অভিযুক্ত প্রেসিডেন্ট নিক্সন ১৯৭৪ সালে পদত্যাগে বাধ্য হন।সন্দেহ নেই, তদন্ত নতুন করে শুরুর ঘোষণা ক্লিনটন শিবিরে বিস্ময় ও উদ্বেগের সঞ্চার করেছে। মার্কিন ভোটারদের চোখে হিলারির বিশ্বাসযোগ্যতা এমনিতেই প্রশ্নবিদ্ধ। উইকিলিকস যেভাবে প্রায় প্রতিদিন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের ব্যাপারে একের পর এক এ-মেইল ফাঁস করছে, তাতে হিলারির প্রতি মানুষের আস্থায় আরও চিড় ধরেছে। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হলো এফবিআইয়ের নতুন তদন্তের ঘোষণা।তবে হিলারি শিবির আশা করছে, জাতীয় পর্যায়ে ও ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড’ অঙ্গরাজ্যগুলোতে যেখানে দুই দলের কারোরই একচেটিয়া সমর্থন নেই, সেই সব জায়গায় জনমতে তারা এতটা এগিয়ে রয়েছে যে ট্রাম্পের পক্ষে তাদের ধরে ফেলা অসম্ভব হবে। অবশ্য এই মূল্যায়নের সঙ্গে সবাই একমত নয়। রাজনীতিবিষয়ক পত্রিকা পলিটিকো মনে করে, রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ির ঊর্ধ্বে থেকে ইতিবাচক সুরে প্রচারণা শেষ করার যে আশা হিলারি করেছিলেন, এখন তা অলীক মনে হচ্ছে।নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ সম্পাদকীয়তে ই-মেইল নিয়ে লুকোচুরির জন্য হিলারিকেই দায়ী করেছে। ব্যক্তিগত সার্ভারে সরকারি ই-মেইল চালাচালির বিষয়ে সব কথা খোলামেলাভাবে প্রকাশ না করার দায়ভার এখন তাঁকেই বহন করতে হবে।প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এর প্রভাব কতটা গভীর হবে, তা অনিশ্চিত। তবে অধিকাংশ ভাষ্যকার মনে করেন, সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে এর প্রভাব অনিবার্য। কংগ্রেসে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য রিপাবলিকান নেতৃত্ব ইতিমধ্যে ট্রাম্পের ওপর থেকে নজর সরিয়ে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে তাঁদের সব পুঁজি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ই-মেইল তদন্ত শুরু হওয়ায় তাঁরা হিলারির ওপর আক্রমণ হানার নতুন রসদ পেয়ে গেছেন।প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ই-মেইল নিয়ে কেলেঙ্কারির সব দায়-দায়িত্ব হিলারির একার। তিনি দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে হিলারি যে উচ্চপর্যায়ের গোপনীয় ‘ব্রিফিং’ পেয়ে থাকেন, তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
260,742
জিল্লুর রহমান
opinion
মতামত
২৮ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০২
২৮ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০২
মতামত,চিঠিপত্র
0
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/84172
সরকারের তুঘলকি কাণ্ডের আরেক নিদর্শন ১৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর আরও সাতটির অনুমোদন। আগের ৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে নতুন অনুমোদন কেবল বিড়ম্বনাই সৃষ্টি করবে না, বরং এই সেক্টরকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে।অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি কর্তৃক প্রদত্ত শর্ত পূরণ করতে পারেনি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পেরেছে হাতে গোনা কয়েকটি। অন্যগুলোর অবস্থা শোচনীয়। শিক্ষার গুণগত মানের দিকে নেই নজর। ইউজিসির তদারকি চোখে পড়ে না। এমনকি ইউজিসি কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রতিনিধির কী কাজ তা আজ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি। অপ্রতুল শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষকস্বল্পতা, ছাত্রছাত্রীর অপ্রতুলতা, মালিকানা দ্বন্দ্ব ইত্যাদি সমস্যা নিত্যনৈমিত্তিক।বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকানা-সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে একাধিক ক্যাম্পাসে চলছে আলাদা আলাদাভাবে। মানা হয় না কোনো নিয়মনীতি। শিক্ষকদের দেওয়া হয় না সময়মতো বেতন। থাকে না কোনো বেতন স্কেল, দেওয়া হয় না কোনো বোনাস বা উৎসব ভাতা। মাসিক বেতন একজন স্কুলশিক্ষকের সমান।শিক্ষক নিয়োগে মানা হয় না কোনো নিয়মনীতি। ট্রাস্টি বোর্ডের সভা হয় নিয়ম রক্ষার্থে। ইউজিসির কার্যক্রম আছে বলে মনে হয় না। তাদের তদারকি লোকবলের যেমন অভাব আছে, সদিচ্ছারও অভাব। আর সঙ্গে থাকে রাজনৈতিক বিবেচনা। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কেবল প্রবাদেই, আমাদের দেশে তা কাজে নেই।জিল্লুর রহমানশিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, ঢাকা।
31,508
রণজিত্ কুমার শীল, সহকারী শিক্ষক, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা
education
শিক্ষা
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৯
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:০০
পড়াশোনা
0
গ ণি ত
http://www.prothom-alo.com/education/article/138853
ত্রিকোণমিতি প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ গণিতের ত্রিকোণমিতি ১২.২ অনুশীলনী থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক সমস্যার সমাধান করব।প্রশ্ন:এবং অ ও ই সূক্ষ্মকোণ হলে, অ ও ই-এর মান নির্ণয় করো।সমাধান: দেওয়া আছে, অর্থাত্, এবং এখন,বা,বা,বা,বা,A-B = 450 .................. (i)আবার, বা,বা,A + B = 600 .................. (ii)সমীকরণ(i) ও(ii) থেকে,A - B = 450 A + B = 600(যোগ করে)2A = 1050বা,A =A = 52আবার,    A - B = 450 A + B = 600(বিয়োগ করে)-2B = -150বা,2B = 150বা,B =বা, B = 7নির্ণেয় মান:A = 52এবং   B = 7mso�if� 7�C/y:SolaimanLipi; color:black'> (অনুধাবন)। সবশেষে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত নতুন বিষয়টি সম্পর্কে পূর্বজ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাও । # উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নে সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিস্থিতিতে তোমার নিজের একটা যুক্তি চাওয়া হবে, এ জন্য তুমি আগের মতো ওই প্রশ্ন সম্পর্কিত যে তথ্য তোমার পাঠ্যবইয়ে আছে তা লেখো (জ্ঞান), তারপর তার উদাহরণসহ দুই-তিন লাইন নিজের মতো করে লিখবে (অনুধাবন)।
48,820
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫১
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫৮
খবর,রাজধানী (জাতীয়),রাজনীতি
0
কিছু রাজনীতিকের চোখে ছানি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/318082
চক্ষু হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কিছু রাজনীতিবিদ চোখ থাকতেও দেখেন না। এঁরা দুর্নীতিবাজ, রাজাকার, সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেন। এঁরা চোখে ছানি পড়া রাজনীতিবিদ।গতকাল শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ আই হসপিটালের উত্তরা শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের গায়ে যারা হাত দেয়, হাসপাতাল ভাঙচুর করে তারা অসভ্য, তাদের কারাগারে রাখা উচিত। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা তথ্য অধিকার আইনের কথা বলে রোগীর ব্যক্তিগত তথ্য নিতে পারেন না, ক্যামেরা নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে, আইসিইউতে ঢুকতে পারেন না।’আয়োজকেরা জানান, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ চক্ষু হাসপাতাল। এখানে চোখের সাধারণ চিকিৎসার বাইরে ১২টি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবার আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ চিকিৎসক আছেন।বাংলাদেশ আই হসপিটালের ব্যবস্থাপনা চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ আবদুর রহমান, চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি সাহাবউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
92,907
বাসস, ঢাকা
economy
অর্থনীতি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০১
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৯
সরকার,বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ,বাংলাদেশ
0
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1557588
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা)’ কাউন্সিলের চতুর্থ সভায় এ সুবিধা চাওয়া হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণের ওপরও জোর দেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে টিকফা কাউন্সিলের চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের দপ্তরে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ সভায় ১২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু। শুক্রবার ঢাকায় প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাসংক্রান্ত বিষয়াদি প্রাধান্য পায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সভায় বাণিজ্য সহযোগিতাকরণ চুক্তি (টিএফএ) বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারিত করা এবং বালিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়। এ সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নার্স, মিডওয়াইফসহ অন্যান্য সেবা খাতের সহজভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের আহ্বান জানানো হয়।বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অনুকূল পরিবেশের বিষয়ে সব তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও অনুরোধ জানানো হয় এ সভায়। এ ছাড়া প্রযুক্তিসেবা বিনিময়, বাণিজ্যবিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল ইকোনমি ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে টেকসই গ্র্যাজুয়েশনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত টিকফার চতুর্থ এ সভায় জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অপরদিকে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে এ সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুহম্মদ হাবিবুর রহমান খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব মইনুল ইসলাম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য প্রকাশ দেওয়ান ছিলেন।অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ মার্ক লিন্সকট। দেশটির ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ দপ্তরের উপসহকারী ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ মিজ জেবা রেয়াজুদ্দিন, ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক কাউন্সেলর বিল মোলারসহ যুক্তরাষ্ট্রের মোট ২০ জন প্রতিনিধি এ সভায় অংশ নেন।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা) স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল টিকফা কাউন্সিলের প্রথম সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এর দ্বিতীয় সভা ও ২০১৭ সালের ১৭ মে ঢাকায় তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
376,844
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৫১
২৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৫৩
-1
0
সিডিএ চেয়ারম্যান পদে আবদুচ ছালামকে ষষ্ঠ দফায় নিয়োগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1156321
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান পদে আবদুচ ছালামের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। টানা ষষ্ঠবারের মতো তাঁকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আফসারী খানম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিডিএ চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত আবদুচ ছালামের চুক্তির মেয়াদ আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় ২৩ এপ্রিল অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হলো।সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম মোবাইলে সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, তিনি বিকেলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন।সিডিএ সূত্র জানায়, আবদুচ ছালাম পাঁচ দফায় আট বছর সিডিএর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল প্রথম মেয়াদে দুই বছরের জন্য আবদুচ ছালামকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি ওই বছরের ২৮ এপ্রিল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে দুই বছর, ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ তৃতীয় মেয়াদে এক বছর, ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল চতুর্থ মেয়াদে এক বছর এবং ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল পঞ্চম মেয়াদে দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আবদুচ ছালামকে।
313,201
কলকাতা প্রতিনিধি
international
আন্তর্জাতিক
২০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪৮
২০ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০৯
ভারত,আসাম
0
দুর্গাপূজায় পশুবলির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীর অবস্থান
http://www.prothom-alo.com/international/article/1561959
দুর্গাপূজায় পশুবলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন আসামের কাছাড় জেলার শিলচরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এনআইটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র কল্পনার্ব শর্মা। সপ্তমী পূজার দিন ব্যানার টাঙিয়ে কাছার জেলার কাঁচাকান্তি মন্দিরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন তিনি।ভারতে সপ্তমী পূজার দিন বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তিনি ওই মন্দিরের সামনে অবস্থানে বসেন। অষ্টমীর পর নবমীর দিন শিলচর শহরের শ্যামানন্দ আশ্রমের পূজামণ্ডপের কাছে অবস্থান ধর্মঘট করেন। সেখানে তখন পশুবলি চলছিল।আশ্রম কর্তৃপক্ষ এনআইটির ওই ছাত্রের অবস্থান কর্মসূচি দেখে এগিয়ে আসে। তারা জানায়, এই আশ্রমের দেয়াল ঘেঁষে বসা চলবে না। এরপর কল্পনার্ব ব্যানার নিয়ে বসে পড়েন আশ্রমের মন্দিরের কাছে এক বাড়ির সামনে।সেখানে পশুর রক্তে ভেজা পোশাক পরা কয়েকজন গিয়ে ওই ছাত্রকে হুমকি দেন। এরপর ব্যানার গুটিয়ে কল্পনার্ব ওই এলাকা ছেড়ে চলে যান।কল্পনার্ব বলেন, পশুবলির বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন চলবে। পশুবলি অমানবিক প্রথা। ধর্মের নাম দিয়ে হত্যাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। মন্দিরে বলি দেওয়ায় শিশুমনে প্রভাব পড়ে।
380,104
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:০২
২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:০৭
ফুটবল
null
আর কত বিতর্কে জড়াবেন নেইমার!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1392101
ক্যারিয়ারে বিতর্কের অভাব নেই নেইমার জুনিয়রের। বার্সেলোনায় থাকাকালীন কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে আসার পরও সেই বিতর্ক থামেনি। উয়েফা তো সর্বকালের সবচেয়ে দামি দলবদল নিয়ে এখনো অস্বচ্ছতার অভিযোগ করে যাচ্ছে! এর মধ্যেই নতুন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছেন ব্রাজিল অধিনায়ক। এক চিকিৎসককে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগে নেইমারের জরিমানা বহাল রেখেছেন ব্রাজিলের আদালত। জরিমানার অঙ্কটা নেইমারের তুলনায় বড় নয় মোটেই। ৩ হাজার ৯০০ ইউরো মার্ক জরিমানা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। চিকিৎসক ভদ্রলোকের নাম হার্বার্ট ক্রেমার। ছয় বছর আগে নেইমারের ছেলে ডেভি লুক্কার ডেলিভারি করিয়েছিলেন তিনি। জরিমানার বিপক্ষে সাও পাওলোর আদালতে দ্বিতীয়বার আপিল করেছিলেন নেইমার। কিন্তু তাঁর আপিল নাকচ করে দিয়ে আদালত মনে করছেন, চিকিৎসক হার্বার্ট ক্রেমারের ফি দেওয়ার ব্যাপারে দায়ভার রয়েছে নেইমারের। সংবাদ সংস্থা ইএফই আদালতে শুনানির সূত্র মারফত জানিয়েছে, পিএসজি তারকা জরিমানার দিতে সম্মত হয়েছেন। ইএফইর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ছেলের জন্মসংক্রান্ত সব খরচ মেটানোর ব্যাপারে রাজি হয়েছেন নেইমার।’ গত বছর তাঁর বিপক্ষে এ ব্যাপারে জরিমানা ধার্য করেছিলেন আদালত। তখন রাজি হলে নেইমারকে বর্তমান অঙ্কের তুলনায় কম জরিমানা দিতে হতো। ডাক্তার ক্রেমার অবশ্য বর্তমান জরিমানার অঙ্কে খুশি। তাঁর দাবি, ডেভি লুক্কা অকালে জন্ম নেওয়ায় আলাদা করে যত্ন নিতে হয়েছিল। তবে মাঠের বাইরে নেইমারকে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মাঠের ভেতরে কিন্তু টগবগিয়ে ছুটছে নেইমারের দল পিএসজি। লিগ ওয়ানে বুধবার কায়েনকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে লিগের শীর্ষস্থানীয় দলটি। এ ম্যাচে নিজে গোল করার পাশাপাশি সতীর্থকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করিয়ে নিজের ১৯তম জন্মদিন রাঙান পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে।
348,802
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৬
০৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২৪
রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ
null
পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন যুবক আহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/419326
রাজধানীর আফতাবনগরে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন যুবক আহত হয়েছে। তারা হলো মনির হোসেন, স্বপন, আবদুল্লাহ আল মামুন। পুলিশি পাহারায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বাড্ডা থানার পুলিশ জানায়, রাত ১১টার দিকে বাড্ডা থানায় খবর আসে, একদল দুর্বৃত্ত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বাড্ডা থানার একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলিবিদ্ধ তিন ডাকাত মনির, স্বপন ও মামুন এবং তাদের দুই সহযোগীকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ তিন ডাকাতকে পুলিশি পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রাত একটায় বাড্ডা থানার কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, বন্দুকযুদ্ধের সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি চাপাতি, একটি ছোরা, একটি গুলি ও দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
105,228
বান্দরবান প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:২০
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:২১
বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা
0
প্রশিক্ষণ গোলার আঘাতে নিহত ১
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/152233
বান্দরবানের সুয়ালকে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনীর গোলন্দাজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ গোলার আঘাতে একজন নিহত হয়েছেন।সতর্ক সংকেত উপেক্ষা করে গোপনে প্রশিক্ষণ গোলার ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপজ্জনক এলাকায় ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, দুপুরে বিমানবাহিনীর আকাশ থেকে ভূমিতে গোলা নিক্ষেপের প্রশিক্ষণ চলছিল। এ সময় রেনিক্ষ্যং এলাকার আর্মি রোড এলাকায় গোপনে গোলার ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেলাল হোসেনের (২৮) ওপর একটি গোলা আঘাত হানে।সুয়ালকের কাইচতলী এলাকার ইউপি সদস্য নুর মোহামঞ্চদ জানান, প্রশিক্ষণের আগে কেন্দ্রের ভেতরে না ঢোকার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু সতর্ক বার্তা না মেনে কাইচতলীপাড়ার কয়েকজন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। গোলার আঘাতে বেলাল হোসেনের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পরে তাঁর সঙ্গে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা বিষয়টি মুঠোফোনে জানালে প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। তাঁরা গোলার ধ্বংসাবশেষের পিতল, লোহাসহ অন্যান্য ধাতুগুলো বিক্রির জন্য সংগ্রহ করেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নিহত বেলালের দুই বছরের এক ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। তিনি দিনমজুরি করতেন।সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানবাহিনীর এক সপ্তাহের জন্য প্রশিক্ষণ গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা। বান্দরবান সদর থানার উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, নিহত বেলালের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
53,057
ময়মনসিংহ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ জুন ২০১৬, ১১:৫১
৩০ জুন ২০১৬, ১২:০০
অপরাধ
null
দুই হাজার বায়োমেট্রিক সিমসহ আটক ৩
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/904120
ময়মনসিংহে অবৈধভাবে বায়োমেট্রিক করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার ২০০ মোবাইল ফোনের সিম, অবৈধ ভিওআইপি, বায়োমেট্রিক যন্ত্রসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে শহরের সানকিপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে।আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার হুমায়ুন কবীর (২৬), রুহুল আমিন (২২) ও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার জহিরুল ইসলাম (২২)।আঙুলের ছাপ জালিয়াতি করা শত শত সিমপুলিশ জানায়, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে গতকাল রাত ১২টার দিকে সানকিপাড়া নয়নমণি মার্কেট এলাকার সুরুজ আলী নামের একজনের বাড়ি থেকে অবৈধভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা ২ হাজার ২০০ সিম, পাঁচটি অবৈধ ভিওআইপি, একটি বায়োমেট্রিক যন্ত্রসহ ওই তিনজনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা সিমগুলো রবি, এয়ারটেল ও গ্রামীণফোন কোম্পানির। একটি চক্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছে থেকে কৌশলে বেশি বেশি আঙুলের ছাপ আদায় করে ওই সব সিম নিবন্ধন করে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে বেশি দামে বিক্রির জন্য সিমগুলো সংরক্ষণ রাখা হয়েছিল।ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আটক হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ড আবেদন করে আজ যেকোনো তাদের সময় আদালতে পাঠানো হবে।
237,015
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
১৫ আগস্ট ২০১৩, ০২:২০
১৫ আগস্ট ২০১৩, ১৩:০১
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
সরে দাঁড়ালেন ফরহাত
http://www.prothom-alo.com/sports/article/38762
জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছেন না ইমরান ফরহাত। পরশু পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান পারিবারিক কারণে নাম প্রত্যাহার করেছেন টেস্ট দল থেকে। ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে জাতীয় দলে কখনোই থিতু হতে না-পারা ফরহাত এবার স্ত্রীর অসুস্থতাকে কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ফরহাতের বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছে ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান মাসুদকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফরহাতের দল হাবিব ব্যাংকেই খেলেন কুয়েতে জন্ম নেওয়া এই ওপেনার।পাকিস্তানের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেছেন ফরহাত, সর্বশেষটি খেলেছেন গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। ২৩ আগস্ট টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে জিম্বাবুয়ে সফর শুরু করছে পাকিস্তান। তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো।
9,386
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০৭
১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:২৭
রাজধানী (জাতীয়),রাজধানী,দূর্ঘটনা
0
সাততলা বস্তিতে গভীর রাতে আগুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1038737
রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে গতকাল রোববার গভীর রাতে আগুন লাগে। রাত দুইটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত একটার দিকে তারা সাততলা বস্তিতে আগুন লাগার খবর পায়।
273,645
জামালপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ অক্টোবর ২০১৬, ০০:০১
১৭ অক্টোবর ২০১৬, ০২:১০
জামালপুর,খবর,অপরাধ
0
১০ টাকা কেজির সন্দেহে পাঁচ বস্তা চাল জব্দ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1001693
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১০ টাকা কেজির পাঁচ বস্তা সরকারি চাল বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন, এমন সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পরে যাচাই-বাছাই করে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
256,836
-1
international
আন্তর্জাতিক
২১ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২২
২১ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২৩
জাতিসংঘ
0
সিরিয়ার নিন্দা
http://www.prothom-alo.com/international/article/78547
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য গত মঙ্গলবার সিরিয়ার নিন্দা করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। সৌদি আরব সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মানবাধিকার ‘ভূলুণ্ঠিত হওয়ায়’ দেশটির প্রতি নিন্দা প্রস্তাব করে। ১২৩-১৩ ভোটে ওই প্রস্তাব পাস হয়। গত শনিবার এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় জাতিসংঘ নিযুক্ত সিরিয়ার ও সৌদি আরবের দূতের মধ্যে তিক্ত বিতর্ক হয়। এ ছাড়া জাতিসংঘের ওই কমিটি ইরান ও উত্তর কোরিয়ার ওপর নিন্দা প্রস্তাব আনে এবং রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানায়। এএফপি।
29,709
-1
sports
খেলা
১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৪:০৮
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৭
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
এক নম্বরে ডি ভিলিয়ার্স
http://www.prothom-alo.com/sports/article/97810
দক্ষিণ আফ্রিকার বেঁধে দেওয়া ৩০২ রানের লক্ষ্যে ছুটতে যখন প্রস্তুত হচ্ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত, তখনই বেরসিকের মতো বাগড়া দিল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভেসেই গেল তৃতীয় ওয়ানডেটি।ভারতকে শেষ ম্যাচে উড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছেপূরণ হয়নি, তবে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত এ ম্যাচের সেঞ্চুরিটা একেবারে বৃথা যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের। তিন ম্যাচের সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের (৩ ম্যাচে ১৮৯ রান) পুরস্কার হিসেবে ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন ডি ভিলিয়ার্স। একই সঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডে ব্যাটসম্যানের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান পাওয়া নবম ক্রিকেটার তিনি, দক্ষিণ আফ্রিকানদের মধ্যে তৃতীয়। তাঁর আগে এই অর্জন ছিল জ্যাক ক্যালিস ও হাশিম আমলার। ডি ভিলিয়ার্স একে ওঠায় দুই নম্বরে নেমে গেছেন এত দিন ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলি।তিন ম্যাচে টানা তিন সেঞ্চুরি করে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে ৬১ ধাপ পেরিয়ে ১৪ নম্বরে উঠে এসেছেন আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান কুইন্টন ডি কক।গতকাল প্রকাশিত সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানডে বোলারদের শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছেন পাকিস্তানের সাঈদ আজমল। তবে তিন ধাপ পেরিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন। অলরাউন্ডারদের মধ্যে শীর্ষস্থানটা যথারীতি বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের। ওয়েবসাইট।
35,334
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৩৯
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৪৫
রাজধানী (জাতীয়),রাজনীতি
null
সালাহ উদ্দিনকে খোঁজাখুঁজির উদ্যোগও নেই
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/497992
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজের ২৮ দিন পার হলেও ন্যূনতম কোনো তথ্য মেলেনি। দৃশ্যত খোঁজাখুঁজির কোনো আয়োজনও নেই। পরিবার বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে গেছে, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত। তবে বিভিন্ন জায়গায় দেনদরবার করেও কোনো তথ্য পায়নি পরিবার।গত ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সে সময় ওই বাসার সামনে ও আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক গাড়ি ছিল।সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু কেউ কিছু শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়ার আগে একাধিকবার আমার বাড়িতে পুলিশ এসে সার্চ করেছে। তাঁর বিষয়ে তথ্য নিতে তাঁকে ধরার আগে আমার তিন কর্মচারীকেও ধরে নিয়ে গেছে। এত কিছুর পরেও কারও বুঝতে বাকি থাকে না কারা তাঁকে ধরে নিয়েছে। আর সরকার সমানে অস্বীকার করে যাচ্ছে। আমি সবাইকে বলেছি, সবার কাছে অনুরোধ করেছি তাঁকে বের করে দিতে। কিন্তু কেউ শুনছে না। বিএনপির সব নেতাকে ধরে জেলে ঢোকানো হলো, আর তাঁকে কেন গায়েব করে দেওয়া হলো সেটাও বুঝতে পারছি না।’হাসিনা আহমদ জানান, সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজের তিন দিন আগে ৭ মার্চ তাঁর দুই গাড়িচালক শফিক ও খোকনকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। একই দিনে বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সালাহ উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ওসমান গণিকে। তাঁরা তিনজন এখনো কারাগারে রয়েছেন।আরও পড়ুনস্বামীর জীবন নিয়ে শঙ্কা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকেই ইঙ্গিত কারও কাছে নেই সালাহ উদ্দিন
129,592
-1
education
শিক্ষা
১০ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৫
১০ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৬
পড়াশোনা
0
শা রী রি ক শি ক্ষা ও স্বা স্থ্য
http://www.prothom-alo.com/education/article/54372
পূর্ণমান: ৫০, সময়: ২ ঘণ্টা মডেল টেস্ট তৈরি করেছেন মোহাম্মদ সুলতান উদ্দীন, শিক্ষক রচনামূলক অংশ১। একটি আন্তর্জাতিক মানের হকি কোর্ট অংকন করো। (পরিমাপসহ)২। প্রজননস্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করো।৩। অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের পরিণতি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করো।৪। বাস্কেটবল খেলায় সেট শটের কৌশল বর্ণনা করো।৫। কী কী কারণে ব্যাডমিন্টন খেলায় সার্ভিস ফন্ট হয়? বহুনির্বাচনি অংশ১।IAAF কত সালে গঠিত হয়?ক. ১৮৯৬ সালে খ. ১৯১২ সালেগ. ১৯৭২ সালে ঘ. ১৯৯৬ সালে২। ব্যক্তিগত মিডলে সাঁতারের ক্রম নিচের কোনটি?ক. প্রজাপতি — চিৎ — বুক — মুক্তখ. চিৎ — বুক — প্রজাপতি — মুক্তগ. বুক — প্রজাপতি — মুক্ত — চিৎঘ. মুক্ত — প্রজাপতি — চিৎ — বুক৩। দলগত মিডলে সাঁতারের ক্রম নিচের কোনটি?ক. চিৎ — বুক — প্রজাপতি — মুক্তখ. প্রজাপতি — চিৎ — বুক — মুক্তগ. বুক — প্রজাপতি — মুক্ত — চিৎঘ. মুক্ত — প্রজাপতি — চিৎ — বুক৪। হকি খেলার কৌশল কোনটি?ক. হিট খ. স্টপিং গ. স্কুপ ঘ. সব কয়টি৫। সাঁতারের আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম কী?ক. Federation International De nation Amateurখ. International Swimming Federation.গ. Federation International De Swimming.ঘ. Federation International Swimming Association.৬। সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত হয় কখন?ক. ১৯৮০ সালে খ. ১৯৮১ সালে গ. ১৯৮২ সালে ঘ. ১৯৮৩ সালে৭।AIDS-    এ র পূর্ণরূপ কী?ক. Advanced Imune Deficiency Syndrome.খ. Acquired Immune Deficiency Syndirome.গ. AdvancedImmuneDeficiencySyndrome.ঘ. AcquiredImmuneDiarrhoeaSyndrome.৮।HIV —এর পূর্ণরূপ কী?ক. HumanImmuneDeficiency Virus খ. HeavyImmumeDeficiency Virusগ. Human Interrepted Virusঘ. Human International Virus৯। বিশ্বের নতুনHIV আক্রান্ত রোগীর অর্ধেকেরই বয়স—ক. ১০-২৫ বছর খ. ১৫-২০ বছরগ. ২০-২৫ বছর ঘ. ১৫-২৪ বছর১০। মুক্ত সাঁতারে পা পানির নিচে যায় সাধারণত—ক. ১২-১৪ ইঞ্চি খ. ১২-১৬ ইঞ্চিগ. ১২-১৮ ইঞ্চি ঘ. ১২-২০ ইঞ্চি১১। বাংলাদেশে এইডস আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ কোনটি?ক. একই সুচ ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে অনেকের মাদক গ্রহণ খ. নারী ও পুরুষের অনিরাপদ দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনগ. অপরিশোধিত রক্ত গ্রহণঘ. এইচআইভি আক্রান্ত মায়ের সন্তান গ্রহণ১২। একজন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে এইডস ছড়াতে পারে যদি—ক. রক্ত অন্য কেউ গ্রহণ করে।খ. কর্নিয়া অন্যের চোখে প্রতিস্থাপন করে।গ. হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে অন্য কেউ আসে।ঘ. কোনোটিই নয়।১৩। এইডস সম্পর্কে কীভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে?ক. র‌্যালির আয়োজন খ. পত্রিকায় প্রচারগ. ব্যানার/ফেস্টুনে এইডস সম্পর্কে বিভিন্ন স্লোগান লিখে প্রচারঘ. লোকসংগীত ও প্রচারণামূলক নাটক মঞ্চায়ন।১৪। স্টপ বোর্ডের দৈর্ঘ্য কত?ক. ১.২১-১.২৩ মিটারখ. ১.২২-১.২৪ মিটারগ. ১.২৩-১.২৫ মিটারঘ. ১.২৪-১.২৬ মিটার১৫। কোনটি স্বল্প দূরত্বের দৌড় নয়?ক. ১০০ মিটার খ. ৪০০ মিটারগ. ৪ × ১০০ মিটার রিলেঘ. ৪ × ৪০০ মিটার রিলে১৬। ভল্টিং বক্সের উচ্চতা নির্ধারণ করতে হবে—ক. শিক্ষার্থীদের বয়স অনুসারেখ. শিক্ষার্থীদের উচ্চতা অনুসারেগ. শিক্ষার্থীদের শক্তি অনুসারেঘ. ওপরের সব কয়টি।১৭। ৮-১০ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের কতক্ষণ ঘুমানো উচিত?ক. ৬-৮ ঘণ্টা খ. ৮-৯ ঘণ্টাগ. ৯-১০ ঘণ্টা ঘ. ১০-১১ ঘণ্টা১৮। মানচিত্র কয়ভাগে বিভক্ত?ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫১৯।‘Do a good turn daily’ স্লোগানটি—ক. রেডক্রসের খ. স্কাউট ও গার্লগাইডেরগ. বিএনসিসির ঘ. সব কয়টি২০। প্রাথমিক চিকিৎসকের কাজ প্রধানত—ক. ২টি খ. ৩টি গ. ৪টি ঘ. ৫টি।
23,339
-1
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৬ জুলাই ২০১৪, ০০:০১
১৬ জুলাই ২০১৪, ০০:০১
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর
0
ল্যাপটপ কম্পিউটারে ঈদ উপহার
http://www.prothom-alo.com/technology/article/268498
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডেল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কম্পিউটারের সঙ্গে গিফট ভাউচার দিচ্ছে কম্পিউটার সোর্স। প্রতিষ্ঠানটির যেকোনো শাখা বা অনুমোদিত বিক্রয়কেন্দ্র থেকে ডেল ল্যাপটপ কিনলেই সুপারশপ আগোরা থেকে কেনাকাটার ভাউচার পাওয়া যাবে।—বিজ্ঞপ্তি
78,271
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ মার্চ ২০১৬, ১৫:০৯
০১ মার্চ ২০১৬, ১৬:৩৬
সরকার
null
গাজীপুরে ১০ পুলিশকে প্রত্যাহার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/785422
কর্তব্য ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুই উপপরিদর্শক (এসআই) ও দুই সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ১০ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁদের প্রত্যাহার করার পর গাজীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।এই ১০ পুলিশ সদস্য হলেন এসআই মো. মোস্তাফিজ ও মনিরুজ্জামান, এএসআই মো. সুমন ও আমান উল্যাহ, কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন, এরশাদুল আলম, শাহাদত হোসেন, আরিফ হোসেন, রফিক ও মোস্তফা মিয়া।গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
206,423
বরিশাল অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:০৫
৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:০৭
বরিশাল,বরিশাল বিভাগ,মহানগর
0
বরিশালে স্কুলছাত্র হৃদয় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1070841
বরিশালে স্কুল শিক্ষার্থী হৃদয় হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সহপাঠীরা। পৃথক মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মানববন্ধন থেকে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে সহপাঠী শিক্ষার্থীরা।গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় এবং বেলা ১১টায় নগরের অশ্বিনীকুমার মল চত্বর ও সড়কে পৃথক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এদিকে গ্রেপ্তার ছয় কিশোর এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। কিশোরদের পরিবার আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও বোর্ডের কর্মকর্তারা।অভিযুক্ত কিশোরদের গতকাল সোমবার আদালতে নেওয়া হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এস এম রুহুল আমীন বলেন, আদালত চাইলে কারাগারে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে তাদের পক্ষে আবেদন করতে হবে।বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাইয়েদুর রহমান হৃদয় হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ওই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সরকারি জিলা স্কুল, বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং শহীদ আরজু মনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘মেধাবী ছাত্র হৃদয় হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’, ‘ইভ টিজিং বন্ধ করুন’, ‘হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে’ স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নেয়। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী আবেগতাড়িত হয়ে কাঁদতে থাকে। হৃদয়ের সহপাঠী ফাহমিদ তন্বী বলে, ‘হৃদয় সংঘর্ষে জড়ানোর মতো ছিল না। কটাক্ষ এবং শিক্ষার্থী উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তাকে স্কুলে থেকে ডেকে খোলা মাঠে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আর কোনো হৃদয়কে হারাতে চাই না। আমরা হৃদয় হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দীর্ঘ মানববন্ধনে ব্যস্ততম সদর রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে।গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র হৃদয়কে সংলগ্ন পরেশ সাগর মাঠে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে কিশোর সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
288,859
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
০৮ মার্চ ২০১৭, ১৮:০৩
০৮ মার্চ ২০১৭, ১৮:১১
ঢালিউড
0
ফাঁসির মঞ্চে নিরব
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1101505
ফাঁসির মঞ্চে দেখা গেছে নিরবকে। হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে তাঁর ফাঁসি হবে। রফিক সিকদারের ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির গল্পের শেষাংশে ঘটবে এ ঘটনা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এফডিসিতে সেই দৃশ্যটি ধারণ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যার পর এফডিসিতে গিয়ে দেখা গেল, মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনের মাঠে ফাঁসির মঞ্চের সেট। মঞ্চ ঘিরে উৎসুক জনতা। চারপাশ জুড়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কড়া নজরদারি। তখনো শুটিং শুরুর আয়োজন চলছে। কিছুক্ষণ পরেই ফাঁসির মঞ্চে উঠবেন নিরব। মঞ্চের পাশেই কয়েদির পোশাকে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। জানতে চাই, ফাঁসির আগে কেমন লাগছে? নিরব বললেন, ‘ফাঁসির আগে একজন আসামির যেমন লাগে, আমারও তেমন লাগছে। যদিও মিছেমিছি ফাঁসি, তারপরেও কেমন যেন ভয় ভয় করছে।’শেষ হয়ে যাওয়ার এ দৃশ্য দিয়েই শুরু হয় ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির শুটিং। মনিটরে বসে দৃশ্য ধারণের প্রস্তুতির সময় কথা হয় পরিচালকের সঙ্গে। শেষ দৃশ্য দিয়ে শুরু করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরবের মুখের দাড়ি অরিজিনাল। এ দৃশ্যের জন্যই দাড়ি রেখেছেন তিনি। ছবির অন্য দৃশ্যগুলোতে দাড়ি থাকবে না। যেহেতু টানা শুটিং হবে, তাই পরে নকল দাড়ি দিয়ে এ দৃশ্য করতে চাইনি।’ পরিচালক জানালেন, প্রথম ধাপে এফডিসি ও ঢাকার পুরোনো জেলখানায় ছবির শুটিং হবে। এ মাস জুড়েই টানা চলবে শুটিং। ছবিতে নিরবের বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকার। আরও অভিনয় করছেন কাজী হায়াত, সুব্রত, আলীরাজ, রেবেকা প্রমুখ।
300,505
-1
sports
খেলা
১৪ জুলাই ২০১৬, ০২:০৪
১৪ জুলাই ২০১৬, ০২:০৫
খেলা
0
সেলফিতে ঝামেলা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/913792
সেলফি তোলা ভালো না খারাপ অভ্যাস, এ নিয়ে ভিন্নমত আছে। তবে আন্দ্রে পোকোকে জিজ্ঞেস করুন, হয়তো উত্তর আসবে, ‘আর যা-ই করো, হুট করে সেলফি তুলতে যেয়ো না।’ সেলফি তুলেই তো বিপদে পড়ে গেলেন এই গ্যাবনিজ ফুটবলার। অবশ্য যে (অপ)কর্ম তিনি করছিলেন, তাতে বিপদে পড়ারই কথা ফ্রেঞ্চ ক্লাব বোর্দোয় খেলা পোকোর। গত মৌসুমের শেষ দিনের কথা। লম্বা ছুটির আনন্দেই কি না, ম্যাচের পরই পোকো চলে গেলেন শিশা (তামাক) ফুঁকতে। সেটির আবার সেলফি তুলে দিয়ে দিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এখানেই শেষ নয়, সে সময় পোকোর গায়ে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেইয়ের জার্সি। ব্যস, বোর্দো সমর্থকেরা তো রেগে পোকোকে দল থেকে বহিষ্কারেরই দাবি তুললেন। কিন্তু অত কঠোর হয়নি বোর্দোর বোর্ড, জরিমানার পাশাপাশি কড়কানি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এএফপি।
239,885
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
২৬ মে ২০১৬, ০০:১২
২৬ মে ২০১৬, ০০:১২
বাণিজ্য
0
বেনামি সম্পদ বিল আনার সুপারিশ
http://www.prothom-alo.com/economy/article/868453
কর ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে কালো অর্থনীতির আকার বাড়ছে। বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যক্তি পর্যায়ে কালোটাকা ও সম্পদকে অর্থনীতিতে ধরে রাখার জন্য বেনামি সম্পদ বিল প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।বেনামি সম্পদ বিল প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভারতকে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। সিপিডি বলছে, ১৯৮৮ সালের বেনামি ট্রান্সজিকসন (প্রহিবিশন) আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে ভারতে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও এ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি উদ্যোগ নিতে পারে। এ ছাড়া আবাসন খাত ও সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিশেষ কর সুবিধা (কালোটাকা সাদা করা) বাতিল করার সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি এ কথা বলেছে। চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণপত্র উপস্থাপনা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ সময় বলেন, দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত পানামা পেপারস থেকেও আমরা তা জানতে পেরেছি। দেশের বাইরে বেনামে অনেকের সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদকে আইন করে হিসাবের আওতায় আনা দরকার। কর ও দণ্ড নিশ্চিত করে বেনামি সম্পদকে দেশের সম্পদের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।কালোটাকা সাদা করার ব্যবসায়ীদের দাবির প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিবছর বাজেট এলে কালোটাকা সাদা করার দাবি ওঠে। এর জন্য প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য তদবির চলে। কিন্তু এটি কোনো অবস্থাতেই অর্থনীতির জন্য শুভ লক্ষণ নয়। কালোটাকার তদবির সরকারের অন্যান্য নীতির বিশ্বাসযোগ্যতাকে নষ্ট করে দেয়। নীতির বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে নীতি বাস্তবায়ন হয় না। তাই এ ধরনের প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে এসে তার একটি আনুষ্ঠানিক সমাধান দরকার।নতুন মূসক আইন: নতুন মূল্য সংযোজন আইন বাস্তবসম্মতভাবে বাস্তবায়নের জন্য দুই থেকে তিন বছরের পরিকল্পনা করার সুপারিশ করেছে সিপিডি। তবে তারা এ আইনটি বাস্তবায়নের পক্ষে। সিপিডি মনে করে, আইনটি আধুনিক।সিপিডি আরও বলছে, নতুন মূসক আইন বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, তা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা উচিত। নতুন মূসক আইনে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল, অর্থ পরিশোধ, নিবন্ধন নেওয়া যাবে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না।দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমরা এই নীতি (মূসক) প্রচলনের পক্ষে। তবে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রকাশ্যে যে বিরোধিতা হচ্ছে, সেটা সমাধান না হলে এ আইন বাস্তবায়ন কঠিন হবে। আইনটি সফলভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।এ ছাড়া সিপিডি সামগ্রিকভাবে আর্থিক খাতের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য স্বাধীন আর্থিক খাত সংস্কার কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে।সিপিডি আরও বলছে, বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমছে। শিক্ষা খাতে জিডিপি অনুপাতে বরাদ্দের হার ১৬১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৫তম। আর স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৮৯তম।এ প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যমূল্য ও ভর্তুকি কমে যাওয়ায় সরকারের জন্য আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য তৈরি হয়েছে। এ আর্থিক আয়েশটি আগামী বাজেটে কোথায় ব্যবহার করা হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। সিপিডির সুপারিশ হচ্ছে, আর্থিক আয়েশকে কাজে লাগিয়ে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা বা সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।
226,389
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ এপ্রিল ২০১৫, ০২:২৮
১৭ এপ্রিল ২০১৫, ০২:২৯
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,অপরাধ
0
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/505123
চট্টগ্রামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলশীর ওমরগণি এমইএস কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত সরোয়ার নিজামকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে পুলিশ লাইন ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির ছাত্র। সরোয়ারের বাবা মো. ইদ্রিস সাংবাদিকদের জানান, কারা কী কারণে তাঁর ছেলেকে কুপিয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন না।খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
131,837
বাদল চৌধুরী
education
শিক্ষা
২০ জুলাই ২০১৩, ০০:০৮
১৯ জুলাই ২০১৩, ২৩:৩৮
পড়াশোনা
0
৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য
http://www.prothom-alo.com/education/article/26692
এনসিটিবি প্রণীত পরিবর্তিত প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী ইংরেজি ২য় পত্রের নমুনা প্রশ্নের উত্তরপ্রিয় ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী) শুভেচ্ছা রইল। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ইংরেজি ২য় পত্রের প্রশ্নের ধরন ও নম্বর বিভাজন পরিবর্তন করেছে। পরিবর্তিত প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী গত দুদিন আমরা এনসিটিবি প্রণীত ইংরেজি ২য় পত্রের নমুনা প্রশ্ন ছেপেছি। আজ দেওয়া হলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর। Answers :1. Fill in the blanks with the words from the box.(a) by (b) on (c) the (d) of (e) for (f) consumption (g) death(h) the (i) an (j) the.2. Fill in the blanks with suitable words.(a) an (b) on (c) the (d) for (e) make (f) in (g) of (h) the(i) a (j) with.3. Make sentences using parts of sentences given in the table.i. The national flag is the symbol of independence and sovereignty.ii. Every independent country of the world has its own flag.iii. Hence to every nation its flag is dearer than any other thing.iv. We need to safeguard its prestige.v. For that we need to have patriotic feelings.4. Gap filling with right forms of verbs(a) was (b) blowing (c) scattered (d) had not rained (e) looking(f) started (g) seen (h) went (i) cursing (j) would have got5. Changing narrative styleI saw a young boy standing before me with utmost politeness. Addressing me as uncle he said that his parents were calling me. I came out of my house and saw an elderly man and a woman. Addressing me as bhaiya the woman asked if I didn’t recognize him. She added that she was Salma (or, She introduced herself as Salma) and said that they had looked for me everywhere but had not found me. I exclaimed in wonder that it was a great surprise.6. Changing sentencesa) In the field of education no other contribution of the educationists was so great as that of Sir Salimullah.b) Institutions which are associated with his name still receive donations.c) What a vital role he played in establishing the University of Dhaka!d) Isn’t the orphanage established by him still providing shelter and education to the poor and the orphans?e) The open handed charity of this great man will always be remembered.f) He founded the All India Muslim League.g) He lived a short life.h) He died and he was 48 then.i) Very few have attained as honourable position in the society as he.j) Every Bangladeshi will remember him with love and gratitude.7. Completing sentencesa) I could have told him if he had asked me.b) Students go to schools not only to gain knowledge but also to develop manners.c) Walking which is a good exercise can keep everyone fit.d) Finishing her work she went to bed.e) Although it was raining, she went out without an umbrella.8. Adding suffix, prefix or both(a) assistance (b) angry (c) unpopular (d) certainly(e) imagination (f) agreement (g) probably (h) indifferent(i) unemployed (j) carefully.9. Tag questions 1×5 = 5(a) My father scolded me. I was upset. Later I told him, “You don’t like me, do you?”(b) My friend, Raja was very down. I told him, “Let’s play badminton, shall we?”(c) Whenever I go to Cox’s Bazar, I think that the Bay of Bengal is beautiful, is’nt it?(d) There was heavy traffic in the city in the morning. I entered the class hurriedly and told, “I’m not late, am I?”(e) Sudipa is very introvert. She never passes any comment about others, does she?10. Complete the passage by using connectors 1×5 = 5(a) but (b) Besides (c) Moreover (d) On the other hand(e) Therefore.11. Punctuation 5Who are happy? Those who have fit bodies are the happiest ones. If we are physically sound, we will be mentally sound too. We need to take care of our health as well as be positive in thinking. How lucky they are who are both ways fit! শিক্ষক, ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
3,913
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ আগস্ট ২০১৫, ০১:৫২
২৪ আগস্ট ২০১৫, ০১:৫৪
বরগুনা,বরিশাল বিভাগ,আইন ও বিচার
0
অভিযোগপত্র দাখিল, বাবার প্রত্যাখ্যান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/611029
বরগুনার তালতলী উপজেলায় শিশু রবিউল আউয়াল (১১) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিরাজ হোসেনকে অভিযুক্ত করে গতকাল রোববার আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। তবে মিরাজকে একমাত্র আসামি করে তাঁর বাবা, মা ও ভাইকে বাদ দেওয়ায় এই অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করেছেন রবিউলের বাবা দুলাল মৃধা।নাম গোপন রাখার শর্তে আমতলী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের এক কর্মকর্তা জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আকতার গতকাল বেলা দেড়টার দিকে আমতলী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বৈজন্ত বিশ্বাসের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) ও ২০১ (লাশ গুমের চেষ্টা) ধারা সংযোজন করে মিরাজকে একমাত্র আসামি করে ওই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।ওসি বাবুল আকতার অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে কয়জনকে আসামি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণে যা পাওয়া গেছে, তা-ই অভিযোগপত্র আকারে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটা আদালতের বিচার্য বিষয়, তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না।’রবিউলের বাবা দুলাল মৃধা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে পুলিশ তাঁকে কিছু জানায়নি। শনিবার বিকেলে ওসি বাবুল আকতার তাঁদের (দুলাল) এলাকায় গিয়ে কয়েকজনের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন। সেখানে তাঁকে (দুলাল) ডাকা হয়নি। খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন, কয়েকজনের কাছ থেকে ওসি কাগজে সই নিচ্ছেন। এরপর গতকাল আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে—এমন একটা কাগজ থানা থেকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দুলাল বলেন, তিনি শিগগিরই এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করবেন।রবিউলের বাবার আরেকটি মামলা: গত বৃহস্পতিবার দুলাল মৃধা বাদী হয়ে মিরাজ, তাঁর বাবা, মা ও ভাইকে আসামি করে আমতলী উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নতুন করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আদালতের বিচারক শুনানি শেষে কাল মঙ্গলবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।মামলার আরজিতে দুলাল অভিযোগ করেন, রবিউল হত্যায় ৫ আগস্ট তালতলী থানায় যে মামলা হয়, সেই এজাহারে ওসি কিছু অবাঞ্ছিত বিষয় সংযুক্ত করেছেন। তিনি (দুলাল) এজাহারে কয়েকজন আসামির নাম উল্লেখ করার কথা বললেও ওসি শুধু মিরাজের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দু-তিনজনের কথা লিখেছেন। এ কারণে অন্য আসামিরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি লেখাপড়া জানেন না, তাই ওসির কথামতো শুধু সই দিয়েছেন।দুলাল অভিযোগ করেন, অন্য আসামিদের আড়াল করতেই ওসি তড়িঘড়ি করে আসামি মিরাজকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ান। এই জবানবন্দিও ছিল পুলিশের শেখানো।বরগুনা জেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোস্তফা কাদের গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলার এজাহার, তদন্ত, আসামির স্বীকারোক্তি আদায়, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল—সব ক্ষেত্রেই পুলিশ তাড়াহুড়ার আশ্রয় নিয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার উচিত ছিল শুরু থেকে রবিউলের বাবার বক্তব্য আমলে নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা। এটা না করায় মামলাটির ভিত দুর্বল হয়ে যেতে পারে।’তালতলীর ছোট আমখোলা গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রবিউল ৩ আগস্ট নিখোঁজ হয়। পরদিন তার লাশ পাওয়া যায়। আসামি মিরাজ আদালতে স্বীকার করেন, মাছ চুরি করার সন্দেহে রবিউলকে পিটিয়ে হত্যা করেন তিনি।
162,643
আশরাফুল আলম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৩
১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:১৬
ছবির গল্প,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,উৎসব
0
হিমদেশে উষ্ণ হোক প্রাণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1575142
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রাঙ্গণে গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে তিন দিনের ‘হিম উৎসব’। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা জাবি ক্যাম্পাসে প্রতিবছর এই ব্যতিক্রমধর্মী উৎসবের আয়োজন করা হয়। শীতকালকে কেন্দ্র করে সামাজিক সংগঠন ‘পরম্পরায় আমরা’ এই উৎসবের আয়োজন করেছে। উৎসবে থাকছে লোকজ নৃত্য, নাটক, সাপখেলা, লাঠিখেলা এবং বিভিন্ন ঘরানার সংগীত, চিত্রকর্ম ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ছবিগুলো ১৭ জানুয়ারির।
387,345
প্রতিনিধি, ফরিদপুর
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪০
০৭ মার্চ ২০১৯, ১২:১৬
ফরিদপুর,আইন ও বিচার,রাজনীতি,ঢাকা বিভাগ,বিএনপি,একাদশ সংসদ নির্বাচন
null
জামিনে মুক্তি পেলেন কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1582202
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিন দিন কারাগারে আটক থাকার পর আজ বুধবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।এ সময় চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, তাঁর স্ত্রী শায়লা ইউসুফসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গত রোববার এজাহারভুক্ত আসামি নায়াব ইউসুফ জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান। আজ একই আদালত ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন তাঁর (নায়াব ইউসুফ) জামিন মঞ্জুর করেন। আদেশের আধা ঘণ্টা পর বেলা সোয়া তিনটার দিকে ফরিদপুর কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।গত ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গিতে একটি চায়ের দোকানে কথা-কাটাকাটির ফলে ইউসুফ ব্যাপারী নামের এক ব্যক্তি ঘুষি খেয়ে আহত হয়ে পরে মারা যান। এ ঘটনায় ইউসুফের ভাই মো. সোহরাব ব্যাপারী বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর বিএনপির ৩৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। এজাহারের ৩৯ জন আসামির মধ্যে নায়াব ইউসুফের নাম ছিল ৩৮ নম্বরে। মামলায় তিনি হুকুমের আসামি ছিলেন।গত রোববার নায়াব ইউসুফের পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য খণ্ডন করে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দাসসহ সরকারি বেশ কয়েকজন আইনজীবী তাঁর জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। কিন্তু আজ শুনানির সময় সরকারি পক্ষের ওই আইনজীবীরা উপস্থিত থাকলেও তাঁরা নায়াবের জামিন আবেদনের কোনো বিরোধিতা করেননি।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, নায়াব ইউসুফের পক্ষে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শহীদুল্লাহ জাহাঙ্গীর আদালতের সামনে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মামলার এজাহারের বর্ণনায় আসামি নায়াব ইউসুফ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি একজন নারী এবং ফরিদপুরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান।এ সময় বাদী পক্ষে সরকারপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি লক্ষ্মণ সাহা আদালতে জানান, মামলার বাদী এই আসামির জামিনে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন।এ সময় আদালত মামলার বাদী সোহরাব ব্যাপারীকে তলব করলে সোহরাব ব্যাপারী আদালতে উপস্থিত হয়ে জানান, চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে জামিন দিলে তাঁর কোনো আপত্তি নেই।এরপর আদালত বাদীর অনাপত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁকে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় স্থায়ী জামিন দেন।
392,790
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ এপ্রিল ২০১৫, ০১:১০
০৪ এপ্রিল ২০১৫, ০১:১২
নালিতাবাড়ী,শেরপুর,বিশাল বাংলা,রাজনীতি,ঢাকা বিভাগ
0
নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/494080
এক যুগ পর গতকাল শুক্রবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে মো. জিয়াউল হোসেনকে সভাপতি ও মো. ফজলুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৭ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে স্থানীয় পাবলিক হল মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ মো. আতিউর রহমান। উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও শেরপুর-৩ আসনের সাংসদ এ কে এম ফজলুল হক বক্তব্য দেন।পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬৭টি সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম-সমর্থিত নেতা-কর্মীরা মিছিল করে নালিতাবাড়ী বাজারে সংক্ষিপ্ত সভা করেন। এ সময় তিনি এই কমিটিকে অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানান।
128,582
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০৯:৩৬
০৮ অক্টোবর ২০১৩, ১৪:৫৬
অপরাধ,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ
null
দুই মামলা, হেফাজতের ইজাহারুল প্রধান আসামি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/53995
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী পরিচালিত চট্টগ্রামের লালখান বাজারে জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে গতকাল সোমবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলাতেই মুফতি ইজাহারুল ও তাঁর ছেলে হারুন ইজাহারকে প্রধান আসামি  করা হয়েছে।এদিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল মধ্যরাতে আহত হাবিবুর রহমান (২০) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তিনি দারুল ইফতা (ফতুয়া) বিভাগে পড়তেন।নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শেষ হয়। এসআই গোলাম নেওয়াজ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ইজাহারুলকে ১ নম্বর ও তাঁর ছেলে হারুনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে।আর অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় মুফতি ইজাহারুল ও তাঁর ছেলে হারুন ইজাহারকে আসামি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে দুজনই পলাতক।ওসি আরও জানান, আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত  অবস্থায় একটি হাতবোমা পাওয়া গেছে। আলামত সংগ্রহের জন্য ডিবির বোমা বিশেষজ্ঞ দল সেখানে কাজ করে যাচ্ছে।চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান মৃণাল কান্তি দাস প্রথম আলো ডটকমকে জানান, চিকিত্সাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে হাবিবুর মারা যান। তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মৃণাল কান্তি আরও জানান, আহত আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার নাম নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।গতকাল বেলা ১১টার দিকে চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই কক্ষের জানালা উড়ে যায়। পুলিশ সন্ধ্যার পর তল্লাশি চালিয়ে ওই কক্ষ থেকে হাতে তৈরি তিনটি তাজা বোমা এবং লোহার পাইপ, মার্বেলসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন উপাদান উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত চারজনসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে হাবিবুরের মৃত্যু হয়েছে।চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বোমা তৈরির সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতরা বেসরকারি হাসপাতালে লুকিয়ে চিকিত্সা নিচ্ছিল। আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মধ্যে নুরুন্নবী নামে পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের একজন ছাত্রও আছে।’মাদ্রাসার ভেতরেই এই মাদ্রাসার পরিচালক ও অধ্যক্ষ মুফতি ইজাহারুলের বাসা। আর যে কক্ষে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার পাশের কক্ষে থাকেন ইজাহারের ছেলে হারুন ইজাহার। পুলিশ সন্ধ্যার পর তল্লাশি চালিয়ে ইজাহারের বাসা থেকে ১৮ বোতল অ্যাসিডজাতীয় পদার্থ উদ্ধার করে। দিনভর মুফতি ইজাহার মাদ্রাসায় বসে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও বিকেলে তল্লাশি অভিযান শুরুর পর তাঁকে আর দেখা যায়নি।মুফতি ইজাহারের দাবি, ছেলেদের ল্যাপটপে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তা থেকে কেরোসিনের চুলায় আগুন লেগে বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। মাদ্রাসার দারুল ইফতার শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, আইপিএস বিস্ফোরণ হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে আরেক ছাত্র সাজ্জাদুল কবির বলেন, ওখানে কোনো আইপিএস ছিল না।
22,624
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৩৯
২২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৪০
হাজীগঞ্জ,বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন,চাঁদপুর
0
হাজীগঞ্জে কর্মীদের হাতে বিএনপির প্রার্থী লাঞ্ছিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/718810
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান খান নিজ দলের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে টোরাগড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।বিএনপির স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মান্নান খান টোরাগড় গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়িতে গণসংযোগ করেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্বর্ণকলি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় গণসংযোগকালে তাঁর ওপর দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা হামলার চেষ্টা করেন। মেয়র ও দলের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর না নেওয়ার অভিযোগে গণসংযোগকালে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তাঁকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। কয়েকজন কর্মী তাঁকে মারধর করতে তেড়ে আসেন। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা তাঁকে রক্ষা করেন।ঘটনাস্থলে থাকা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবুল বাশার সর্দার বলেন, ‘সেখানে উচ্ছৃঙ্খল কিছু যুবক মান্নান খানকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাঁরা আমাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেছেন। আমরা প্রায় দুই থেকে আড়াই শ লোক ছিলাম। আমরা তাঁদের প্রতিরোধ করেছি।’
185,738
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
আজকের পত্রিকা
২৩ জুলাই ২০১৪, ০২:১৫
২৩ জুলাই ২০১৪, ০২:১৫
গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,সরকার
0
মহাসড়ক এখন যান চলাচলের উপযোগী: মন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/275134
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সড়ক-মহাসড়ক এখন যান চলাচলের উপযোগী। তবে ঈদের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলা, উপজেলা প্রশাসন, ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়ী এলাকা পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী কথা বলেন। এক দিন আগে ওই এলাকায় দায়সারা সড়ক মেরামত করা হয়। সেই জোড়াতালি উঠে গিয়ে আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কে জমে বৃষ্টির পানি। এর মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী এলাকাটি পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।এ সময় যোগাযোগমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে বর্ষাকাল ও মহাসড়কে অতিরিক্ত চাপ (ওভারলোড) একসঙ্গে চলে। ফলে চাপ সামলাতে না পেরে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য আগামী অর্থবছর থেকে দেশের সব রাস্তা কংক্রিটে নির্মাণ করা হবে। গত কয়েকটি ঈদের তুলনায় এবার মানুষ স্বচ্ছন্দে ঘরে ফিরতে পারবে।তবে মন্ত্রীর পরিদর্শনের আগে গতকালও কোনাবাড়ীর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তড়িঘড়ি ও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কারকাজ চালাতে দেখা গেছে। রাস্তার কোথাও কোথাও পানি সেচে ইট-বালু-খোয়া ফেলে রাস্তা সংস্কার করা হয়।এলাকাবাসী এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সদর উপজেলা চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত মেরামতের কাজ দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিএমকে লিমিটেডকে। প্রতিষ্ঠানটির লোকজন দুই দিন ধরে কোনাবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় দায়সারা জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে মেরামতের কাজ শেষ করেন। রাস্তায় ধুলা সরিয়ে গর্ত ভরাট করে পিচ ঢালা হয়। কিন্তু গাড়ির চাপে তা এক দিনেই উঠে গিয়ে আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। গত সোমবার রাতের বৃষ্টিতে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের খানাখন্দে পানি জমে। গতকাল যোগাযোগমন্ত্রী আসার খবরে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন পানি সরানোর চেষ্টা করেন।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেরামতের কাজ কোনো রকমই করা হয়। এক দিনে কেন এক ঘণ্টা পরও উঠে গেলে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে।’গাজীপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কে পানি জমে গেছে। তবে ওই প্রতিষ্ঠান কাজে গাফিলতি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
80,054
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪২
২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪৩
মুন্সিগঞ্জ,অপরাধ
0
আচরণবিধি লঙ্ঘন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/721285
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গতকাল বুধবার দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী হাকিম আসিফ আনাম সিদ্দিকী এ জরিমানা করেন। রঙিন পোস্টার করায় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শাহীন মাদবরকে (পাঞ্জাবি) দুই হাজার টাকা, অনুমতিবিহীন পথসভা ও সভায় মাইক ব্যবহার করায় ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী আ. গফুর খানের সমর্থক নোমান মিয়াকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
186,175
পটুয়াখালী অফিস ও ভোলা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ মে ২০১৫, ০২:৩৬
২৫ মে ২০১৫, ০২:৩৭
বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
চিংড়ি রেণুসহ দুটি ট্রলার জব্দ আটক ১১
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/536880
পটুয়াখালীতে মহাসড়ক থেকে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের গলদা চিংড়ির রেণুসহ ১১ জনকে গতকাল রোববার আটক করেছে পুলিশ। একই দিন ভোলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ড তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে আড়াই লাখ চিংড়ি রেণুসহ দুটি ট্রলার জব্দ করেছে।পটুয়াখালী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মমিন জানান, রোববার (গতকাল) ভোর চারটার দিকে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে পটুয়াখালী সেতুর ঢালে পুলিশের তল্লাশিচৌকি থেকে একটি ট্রাক থামাতে বলা হয়। চালক ট্রাকটি না থামিয়ে আরও দ্রুতগতিতে বরিশালের দিকে ছুটতে থাকে। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে তারা সেটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে লেবুখালী ফেরিতে গিয়ে ট্রাকটি আটক করা হয়। এ সময় ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। ট্রাকে থাকা ১১ জন ব্যবসায়ী এবং ট্রাকটিতে থাকা ২৫টি প্লাস্টিক ড্রাম ও ১৪টি বড় পাতিলভর্তি গলদা চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়।পটুয়াখালী থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক বলেন, আটক ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী ড্রাম ও পাতিলে ৭০ লাখ রেণু আছে। ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবৈধ চিংড়ি রেণু বহনের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।ভোলা দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের অভিযান কর্মকর্তা লে. খালেদ বলেন, চোরাইপথে চিংড়ি রেণু খুলনা নেওয়ার সময় কোস্টগার্ড রোববার (গতকাল) সকালে তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে আড়াই লাখ চিংড়ি রেণু জব্দ করে। এ সময় রেণু বহনকারী দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়। রেণুর মালিক ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িতরা লাফিয়ে নদীপথে পালিয়ে গেছে। পরে ওই রেণু নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
141,727
গাজী ফিরোজ, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুন ২০১৭, ০০:৪৭
২২ জুন ২০১৭, ০০:৪৮
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ
0
সুযোগ পেলেই টেনে নিচ্ছে ভ্যানিটি ব্যাগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1226436
যাত্রীবেশে তারা নগরের সড়কগুলোতে ঘুরে বেড়ায়। মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারি রিকশায়। বিশেষ করে নির্জন জায়গাগুলোতে। আর সুযোগ পেলেই পথচারী কিংবা রিকশাযাত্রীর কাছ থেকে টান দিয়ে ছিনিয়ে নেয় ভ্যানিটি ব্যাগ কিংবা মুঠোফোন।ওরা ছিনতাইকারী। নগরবাসীর আতঙ্ক ‘টানা পার্টির’ সদস্য। রমজানের শুরু থেকে এই পার্টির প্রায় ৫০ সদস্য তৎপর বন্দরনগরে।পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৫ দিনে নগরে প্রায় ১২০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করেন না। তাই মামলা হয়েছে মাত্র ১১টি। গ্রেপ্তার হয়েছে ১৫ জন। পলাতক রয়েছে মো. শাহজাহান, মো. ভুট্টো, মো. ফরিদ, মো. জলিলসহ অনেকে।পটিয়া থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে এসে শিরিন ১৩ জুন ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়ে গুরুতর আহত হন। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হার মানেন। শিরিনের মৃত্যুর পর পুলিশ নড়েচড়ে বসলেও বেশির ভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা না হওয়ায় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে জড়িত ব্যক্তিরা। উদ্ধার হয় না ছিনতাই হয়ে যাওয়া মালামালও।১৭ জুন নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় আরেফিন নগর গেটে ছিনতাইয়ের শিকার হন পোশাক কারখানার কর্মকর্তা হযরত আলী। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিনি এ ঘটনায় থানায় মামলা করেননি। তাঁর স্ত্রী মুক্তা বেগম গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঝামেলার কারণে মামলা করতে তাঁরা থানায় যাননি।বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুহসীন বলেন, ৫ জুন দুপুরে সাউথইস্ট ব্যাংক অক্সিজেন শাখা থেকে ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা তুলে অফিসে ফেরার সময় পোশাক কারখানার কর্মকর্তা রুবেল দের কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৯ জুন রাতে ছিনতাইকারী মো. রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ছিনতাই করা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সূত্র জানায়, ‘টানা পার্টির’ সদস্যরা নগরের টাইগারপাস, সিআরবি মোড়, সার্সন রোড, জামালখান, আসকার দীঘি, ডিসি হিলসহ নগরের নির্জন রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। যেখান থেকে সহজেই পালিয়ে যাওয়া যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত এবং ভোরে তাঁরা রাস্তায় বের হন। রিকশা কিংবা হেঁটে কেউ যাচ্ছেন লক্ষ্য করে তাঁর পিছু নেন। পাশে গিয়ে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই টান দিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে আশপাশের অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। এসব ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন। গত ২৫ দিনে পুলিশ ১৫ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে নগরের কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোড এলাকায় জাহেদুল ইসলাম নামের এক ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি পুলিশ পরিচয়ে আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনতাই করছিলেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, রমজান শুরুর পর থেকে ২৫ দিনে নগরে শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঈদের মৌসুমে ছিনতাইকারী টানা পার্টির সদস্যরা তৎপর হয়। এদের মধ্যে তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী, মাদকসেবী, ছিঁচকে মাস্তানও রয়েছে। কলেজছাত্রও রয়েছে। ছিনতাইকারীদের হাতেনাতে ধরা যায় না। ভুক্তভোগীরা মামলা করেন না, তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাইন হোসেন বলেন, ছিনতাইয়ের শিকার যাঁরা হন, তাঁরা যেন থানায় মামলা করেন। এতে মালামাল উদ্ধার ও ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ। রাস্তায় চলাফেরাকালে নগরবাসীকে একটু সাবধানে চলাফেরারও পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ছোটখাটো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও বড় কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সাদাপোশাকধারী পুলিশ রয়েছে। জামিনে থাকা ছিনতাইকারীদের ওপর কঠোর নজর রেখেছে পুলিশ।
322,442
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১১ জুন ২০১৬, ০৯:১৩
১১ জুন ২০১৬, ০৯:২৩
পরামর্শ
0
ল্যাপটপের চার্জ খাচ্ছে কে?
http://www.prothom-alo.com/technology/article/884539
ল্যাপটপের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে? আপনার ল্যাপটপে এমন কোনো অ্যাপ নিশ্চয়ই চালু আছে, যা এর জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের কারণেই ল্যাপটপের চার্জ দ্রুত শেষ হয়।ক্রোম ব্রাউজার যাতে কম মেমোরি ও চার্জ ব্যবহার করে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারে, এ জন্য অনেক চেষ্টা করছে গুগল। এরপরও ল্যাপটপের দ্রুত চার্জ শেষ করার জন্য ক্রোমকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।যেভাবে সমস্যা দূর করবেন:১. ট্যাব ও এক্সটেনশন বন্ধ করুনক্রোমে যত বেশি ট্যাব ও এক্সটেনশন চালু থাকবে, তত বেশি চার্জ ফুরাবে। অবশ্য সব ট্যাব বন্ধ করার আগে ক্রোমের বিল্ট ইন টাস্ক ম্যানেজার থেকে দেখে নিন কোনো ট্যাব বেশি সিপিইউ ও মেমোরি ব্যবহার করছে। ক্রোমের ইউআরএল বার থেকে হ্যামবার্গার মেনু থেকে মোর টুলস হয়ে টাস্ক ম্যানেজারে যেতে পারেন।যে এক্সটেনশনটি বেশি চার্জ শেষ করছে, তা হাইলাইট করে এন্ড প্রসেসে ক্লিক করে তা বন্ধ করে দিতে পারেন।২. ক্রোমের সেটিংসে থাকা হার্ডওয়্যার এক্সসিলেরেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পিসিতে ক্রোমের পারফরম্যান্স বাড়িয়ে নিতে পারেন। সেটিংসটি খুঁজে বের করতে ক্রোমের সেটিংস থেকে শো অ্যাডভান্সড সেটিংসে যান। হার্ডওয়্যার এক্সসিলরেশন বক্সে টিক দিন। ক্রোম রিস্টার্ট দিন।৩. রিসেট বাটনে ক্লিক করুনগুগল ক্রোম রিসেট করলে কিছুটা সুফল পাবেন। অ্যাডভান্সড সেটিংস পেজের হার্ডওয়্যার এক্সসিলেরেশনের ঠিক নিচেই এর অবস্থান।
231,052
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৬ এপ্রিল ২০১৪, ১১:২৮
০৬ এপ্রিল ২০১৪, ১১:৩০
এশিয়া
null
নিখোঁজ বিমানের গুরুত্বপূর্ণ সংকেত মিলেছে
http://www.prothom-alo.com/international/article/186073
ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশে অনুসন্ধান চালানোর সময় মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের অবস্থানের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত পেয়েছে চীনের একটি উদ্ধারকারী জাহাজ। অস্ট্রেলিয়ার উদ্ধারকারী দলের সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার চিফ মার্শাল অ্যাংগাস হিউস্টন বিবিসিতে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানিয়েছেন।চীনের উদ্ধারকারী জাহাজ হাক্সিয়ান ০১ গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানির নিচে তাদের ডাটা রেকর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত পেয়েছে। তবে এসব তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি। ওই অংশে অনুসন্ধানকাজ চালানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আরও একটি বিমান পাঠানো হয়েছে।অবসরপ্রাপ্ত এয়ার চিফ মার্শাল হিউস্টন জানিয়েছেন, ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জাহাজ এইচএমএস ও অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজ সাগরের তলদেশের ওই এলাকায় সংকেত পাঠিয়েছে। দুটি জাহাজই সাগরের তলদেশে ডাটা রেকর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত পেয়েছে।অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে দুই হাজার কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি এলাকায় সেনাবাহিনীর ১৩টি জাহাজ ও বিমান উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ রোববার জাহাজগুলো ওই এলাকায় দুই লাখ ১৬ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।চার সপ্তাহ আগে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিমানটির কোনো ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা যায়নি।
63,743
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৩৩
০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৩৪
রাজধানীর চারপাশ​​
0
প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে সভা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1034603
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ঢাকার নবাবগঞ্জে আলোচনা সভা হয়েছে। উপজেলা প্রতিবন্ধী ফোরামের উদ্যোগে গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধী, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতাসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির কল্যাণে সমাজের বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুস সালাম, নারীনেত্রী মাধুরী বণিক, উপজেলা প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি মো. তারেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
271,821
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১৮ জুন ২০১৫, ২১:৩৭
১৮ জুন ২০১৫, ২১:৩৮
বাজেট
null
উৎসে কর কমানোর দাবি রপ্তানিকারক সমিতির
http://www.prothom-alo.com/economy/article/556678
প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সময় উপযোগী হয়নি বলে মনে করে রপ্তানিকারক সমিতি বাংলাদেশ (ইএবি)। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, বিভিন্ন কারণে শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে গেছে। তাই উৎসে কর বর্তমানের মতোই রাখতে হবে।রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর কমানোসহ সাত দফা দাবি জানায় ইএবি। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।জাতীয় সংসদে গত ৪ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পোশাক ছাড়াও হিমায়িত খাদ্য, পাট, চামড়া, সবজি ও প্যাকেটজাত খাদ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে উৎসে করহার বাড়িয়ে এক শতাংশ করা হয়েছে।আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, পোশাক কারখানার সংস্কারে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ক্রেতারা পোশাকের মূল্য কমিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া শ্রমিকদের মজুরি, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পরিবহন খরচ বাড়ায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরপতন হয়েছে। সব মিলিয়ে উৎসে কর বৃদ্ধি করা যুক্তিযুক্ত হবে না। তিনি উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানান।উৎসে কর কম দিলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। তা ছাড়া পোশাকশিল্পের বয়স ৩০ বছর হয়েছে। আর কত দিন সরকারের সাহায্য-সহযোগিতা লাগবে?-এক সাংবাদিক এ প্রশ্ন করলে আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘বাবার কাছে সন্তান যত বড়ই হোক, সে ছোটই। বাস্তবতা হচ্ছে, বয়স ৩০ হলেও সমস্যা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দিতে চাই। কিন্তু সময়টা সঠিক নয়।’ইএবির অন্য দাবিগুলো হলো ২০১৯ সাল পর্যন্ত রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য বার্ষিক করহার ১০ শতাংশ হ্রাসকৃত হারে নির্ধারণ করা, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার, পোশাকশিল্পের জন্য স্থানীয়ভাবে সরবরাহকৃত বিভিন্ন দ্রব্য ও সেবার মূসক প্রত্যাহার, ইউরোর দরপতনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানির জন্য বিশেষ প্রণোদনা, পোশাকশিল্পের বন্ডেড ওয়্যার হাউজের দ্বৈত তদারকি বাতিল ও পোশাক কারখানা সংস্কারের অর্থায়নের জন্য বিশেষ তহবিল করা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সহসভাপতি নাসিরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বিজেএমইএর সহসভাপতি আসলাম সানি ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, জুট গুডস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
145,921
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ২০:৩৮
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ২১:০০
-1
null
মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের ঈদ উদযাপন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/640405
সারা দেশে আজ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছেন মুসলমানরা। উৎসবমুখর পরিবেশে এই ঈদ আনন্দ থেকে বাদ যাননি জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত ও সমর্থকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁরা। পৃথকভাবে নিজ নিজ ফেসবুক পেজে সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দটা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেইনসহ অনেককেই দেখা গেছে ঈদ উপলক্ষে তাঁদের ফেসবুক পেজে ছবি প্রকাশ করতে।অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ঈদের ছুটিতে নিজ নিজ বাড়িতেই ঈদের ছুটিটা কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। মাশরাফি এবং সাকিব নিজ নিজ জেলায় ঈদ উদযাপন করছেন। সাকিব তাঁর পিতা মাশরুর রেজার সঙ্গে মাগুরা জজ কোর্ট জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকও ঈদ উদযাপন করেছেন বগুড়ায় নিজ বাড়িতে।
171,669
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ জুন ২০১৫, ০১:৩২
৩০ জুন ২০১৫, ০১:৩৩
রায়পুর,লক্ষ্মীপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
রায়পুরে গুলিসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/565858
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া এলাকা থেকে গতকাল সোমবার পাঁচটি গুলিসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে, নাশকতার জন্য মো. মিজান (৩০) ও ইমাম হোসেন (২৫) রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের সিকদার রাস্তায় অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে পিস্তলের পাঁচটি গুলি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পিস্তলটি পানিতে ফেলে দেয়। মিজান ও ইমামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলনিয়া গ্রামে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ-আল-মামুন ভুঁইয়া জানান, এ ঘটনায় থানার এএসআই হুমায়ুন কবির গতকাল অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেছেন।
149,104
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ আগস্ট ২০১৭, ০২:২০
২০ আগস্ট ২০১৭, ০২:২১
-1
0
পানি ওঠায় শরীয়তপুরে ২৫৯টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1295946
বন্যার পানি প্রবেশ করায় শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ২৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলার কথা ছিল।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ যাবৎ পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা নদীর তীরবর্তী ৪৮টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নড়িয়া উপজেলার ১০৫টি ও জাজিরা উপজেলার ৪০টি বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে।গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।নড়িয়া উপজেলার ১৪৩টি ও জাজিরা উপজেলার ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার থেকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা চলার কথা। বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে ওই বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে আমাদের বিদ্যালয়ের ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। ক্লাসরুমের ভেতরে ৩ ফুট পানি। আশপাশের সব গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছে না। এলেও পানির কারণে তাদের পাঠদান সম্ভব হবে না। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় সমস্যা হয়ে গেল। সামনে ঈদের ছুটি, কবে পানি নামবে আল্লাহই জানেন।’জাজিরা উপজেলার পাথালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আশপাশের সব গ্রামে পানি। পানির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে শিশুরা কীভাবে বিদ্যালয়ে আসবে? শ্রেণিকক্ষে পানি থাকায় আমরাও যেতে পারছি না। উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে বন্যার পানি থাকায় আমাদের অনুরোধে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলার ১০৫টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। বিদ্যালয়গুলোতে শিশুরা আসতে পারছে না। পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রামে গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। অনেক বিদ্যালয় নিমজ্জিত হয়ে গেছে। শিশুদের যাতায়াতের সমস্যার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি হলেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
333,862
মনোয়ারুল ইসলাম
education
শিক্ষা
০৭ জুন ২০১৬, ০০:২৮
০৭ জুন ২০১৬, ০০:৩২
পড়াশোনা
0
ইংরেজি ১ম পত্র
http://www.prothom-alo.com/education/article/880183
* ৪, ৫, ৬ নম্বর প্রশ্নপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি ১ম পত্রের Part-1 (নতুন সিলেবাস)-এর ৪, ৫, ৬ নম্বর প্রশ্ন আলোচনা করব। প্রশ্নগুলো আগে নিজে চেষ্টা করবে; তারপর উত্তরের সঙ্গে তা মিলিয়ে নেবে।Set-74. Fill in the blanks with suitable words from the box. There are more words than needed. Make any grammatical changes if necessary. 5eat kind food increase other sourcecall come which use protein growThe ocean has always been a good (a) — of food for man. But only one percent of mankind’s food (b) — from the sea and most of it is fish. Besides fish, we eat prawns, shrimps, lobsters and whales, (c) — are commonly (d) — fish but are scientifically classified otherwise. There are about 20 thousand (e) — of fish in the sea. We (f) — only a few kinds. We should try to eat some (g) — kinds too. In order to (h) — the sea’s yield of fish, we can start fish farming in the sea. In China, sea weeds are now (i) — for use both as food and as fertilizer. We too can take measures and make best (j) — of our water resources.5. Fill in the blanks with appropriate word in each gap. 10Traffic jam is one of the major problems of our time. It is a very (a) — affair in big cities and towns. Our population has (b) — very fast over the last fifty years or so. The (c) — of vehicles has also gone up. But our roads are not broad (d) — to accommodate so many buses, trucks and cars. Slow moving vehicles (e) — rickshaws and baby taxis have added complications to the problem. On top of that our drivers are not very willing to (f) — traffic rules. They often (g) — impatient and look to go (h) — of one another (i) — traffic signals. Sometimes they (j) — recklessly and meet horrible road accidents.6. Rearrange the following sentences to make a coherent order. 10i. The blacks were subjected to all sorts of indignities.ii. But the oppressive rulers could not break his spirit.iii. Nelson Mandela was the greatest leader of South Africa.iv. Eventually, the great leader realised the goal of liberation of his people.v. All his life he struggled against apartheid.vi. The blacks were treated cruelly.vii. He was thrown behind the prison bars.viii. The great leader vowed to put an end to the inhuman practice.ix. They were denied all basic human needs.x. Even dogs received a much better treatment than the blacks.Ans. to the Ques. No. Set-74. (a) source (b) comes (c) which (d) called (e) kinds (f) eat(g) other (h) increase (i) grown (j) use5. (a) common (b) increased (c) number (d) enough (e) like(f) maintain (g) become (h) ahead (i) ignoring (j) drive6. Ans.1 2 3 4 5 6 7 8 9 10iii v vi i ix x viii vii ii iv# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালসহকারী অধ্যাপকঢাকা স্টেট কলেজ, ঢাকা
230,044
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:৫৭
০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০১
রাজনীতি,আওয়ামী লীগ,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
null
সংলাপ কারও কাছে ফলপ্রসূ, কেউ নাখোশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1563540
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাড়ে তিন ঘণ্টার সংলাপের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানিয়েছে। ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে ঐক্যফ্রন্ট। তবে এই জোটের অন্যতম শরিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি খুব সন্তুষ্ট নই।’বৃহস্পতিবার রাজধানীর গণভবনে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সংলাপ শুরু হয়ে চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ নেতা। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।সংলাপ শেষে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণভবন থেকে বের হওয়ার পর পরই গণমাধ্যমকর্মীরা তাঁদের ছেঁকে ধরেন। তবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মুখ খুলতে নারাজ ছিলেন। অবশ্য সেদিক থেকে উদার ছিলেন ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর কাজী জাফর উল্যাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি সাত দফার কথা বলেছে। আমরা তাদের কথা শুনেছি। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বরফ গলতে শুরু করেছে।’বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কথায় অবশ্য বরফ গলার আশা পাওয়া যায়নি। প্রথমে রাজি না হলেও শেষে গাড়িতে বসেই একটুকরো মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট নই।’ পরে ড. কামাল হোসেনের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও একই কথা বলেন তিনি। তবে মির্জা ফখরুল এও বলেছেন, ‘একদিনে সব পাওয়া যায় না।’অন্যদিকে বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়েছে, সংলাপ থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠার সময় ড. কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সংলাপ ভালো হয়েছে। তবে সংলাপে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। বিবিসি বাংলা জানায়, বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড. কামাল হোসেন শুধু এটুকুই বলেছেন যে, ‘ভালো আলোচনা হয়েছে।’তবে এর কিছু সময় পর বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল জানান, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই একে-অপরের কথা শুনেছে। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘...প্রধানমন্ত্রী বেশ লম্বা বক্তৃতা দিলেন। কিন্তু বিশেষ কোনো সমাধান আমরা পাইনি।’গণভবনে যাওয়ার জন্য ঐক্যফ্রন্ট প্রথমে ১৬ জন নেতার নাম জানিয়েছিল। পরে আজ এই জোট নতুন করে পাঁচ সদস্যের নামের তালিকা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠায়। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসীন মন্টু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংলাপের জন্য সর্বমোট ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল যোগদানের কথা বলা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সংলাপে যোগ দেননি।জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আরও আলোচনা হতে পারে কিনা—তা ৮ তারিখের পর জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংলাপ শেষে গণভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।এদিকে আলোচনা কি আজই শেষ? না আরও হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় আলোচনা হতে পারে। আমরা তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলেছি।’আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টও। ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে এই জোট। বিএনপি সন্তুষ্ট না হলেও, হাল ছাড়েনি। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘সাত দফা নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
381,340
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৩
২০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৩
আমার চট্টগ্রাম
0
পর্যটন শহর কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত রাখার আহ্বান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/716944
কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর নুনিয়াছটা রাস্তার মোড়ে ১০ ডিসেম্বর মাদকবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ট্রলার মালিক ও জেলে শ্রমিকেরা অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা পর্যটন শহর কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত রাখার আহ্বান জানান।সমাবেশে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, কক্সবাজারকে যেকোনো মূল্যে মাদকমুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে স্থানীয় জনগণ, ট্রলার মালিক ও জেলেদেরও। এর পাশাপাশি নুনিয়াছটা উপকূল দিয়ে মানব পাচার বন্ধে এগিয়ে এসে দালালদের ধরার ব্যাপারে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল, ক্ষুদ্র মৎস্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক, উত্তর নুনিয়াছটা সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, নুনিয়াছটা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, মসজিদ আল খিজির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান, আলী হোসেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক, সাংবাদিক আবদুল্লাহ নয়ন প্রমুখ।
185,046
-1
opinion
মতামত
১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৩
১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৩
মতামত,সম্পাদকীয়:
null
কঠোর অবস্থান
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/102346
ঢাকার পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচির কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে সংঘাত ও সহিংসতা তো আছেই। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিকভাবে মাঠে দৃশ্যমান না হয়ে যেভাবে কর্মসূচি সফল করার চেষ্টা করছেন, তাকে নৈরাজ্য ছাড়া আর কিছুই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এ ধরনের অসহনীয় ও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে বিস্ময়কর হচ্ছে সরকারের নির্বিকার মনোভাব। পরিস্থিতি উত্তরণের কোনো চেষ্টা সরকারের তরফে একেবারেই দেখা যাচ্ছে না।বিরোধী দলের সহিংস কর্মসূচি মোকাবিলায় সরকার এখন যে কঠোর অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে বিএনপির পক্ষ থেকে ‘তালিকা করে নেতা-কর্মীদের হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেছেন, সরকার দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর দাবি, গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁদের ২৫ জনের মতো নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন।আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, যে দল বা মতের লোকজনই হোক গত ২৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে এ পর্যন্ত সহিংসতায় সারা দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১১৩ জন। বিএনপির নেতা বিরোধী দলের যে নেতা-কর্মীদের প্রাণহানির কথা বলেছেন, এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। কিন্তু বিরোধী দলের কর্মীদের রাজনৈতিক সহিংসতায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তার জবাব কী?নির্বাচন নিয়ে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের একগুঁয়ে অবস্থান এবং একে কেন্দ্র করে এত সহিংসতা, এত মৃত্যু আগের সব রাজনৈতিক সহিংসতাকে ছাড়িয়ে গেছে। এসব ঘটনায় বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি বা উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি লক্ষণীয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সোমবার দেশের এই চলমান সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। বিরোধী দলের সমর্থকদের ‘ভয়াবহ সহিংসতার’ বিষয়টি যেমন সেখানে স্থান পেয়েছে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার ও মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের প্রসঙ্গও রয়েছে।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এসব উদ্বেগ সম্ভবত সরকার ও বিরোধী দলের কাছে বিবেচ্য নয়। বিরোধী দল আন্দোলন করছে সহিংস পথে। অন্যদিকে সরকার এই আন্দোলন দমনে বেছে নিয়েছে কঠোর পথ। বিরোধী দলের অনেক নেতা এখন কারাগারে এবং অনেক দিন থেকেই স্বাভাবিক মিছিল-সমাবেশও করতে পারছে না বিরোধী দল। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি সমস্যাটি রাজনৈতিক, এর সমাধানও হতে হবে রাজনৈতিক পথে, খুঁজতে হবে রাজনৈতিক সমাধান। সহিংস আন্দোলনের পথে যেমন কিছু আসবে না, তেমনি বিরোধী দলের ওপর দমন-নিপীড়ন বা কঠোর অবস্থান নিয়েও শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে দেশকে মুক্ত করার দায়টি প্রথমত সরকারেরই। কিন্তু সরকার কার্যত নির্বিকার। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কত দিন চলবে?
37,023
ভোলা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ আগস্ট ২০১৫, ০২:০৩
১৪ আগস্ট ২০১৫, ০২:০৪
ভোলা,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/602131
ভোলার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কালিকৃর্তি নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ভোলার প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা ভাঙনকবলিত এসব শিশুদের এ বস্ত্র বিতরণ করে। এতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মোসলেহ উদ্দিন, প্রথম আলোর ভোলা বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক এম সাদ্দাম হোসাইন অপি প্রমুখ।
160,040
প্রতিনিধি, মুম্বাই
entertainment
বিনোদন
০৪ মার্চ ২০১৯, ১২:৪০
০৪ মার্চ ২০১৯, ১২:৪১
বলিউড
0
সিংকে বাদ দিয়ে কাপুরের সঙ্গে কফি!
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1581822
রণবীর কাপুর ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোনের পুরোনো প্রেমিক। সেই প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর মুষড়ে পড়েছিলেন দীপিকা। এরপর ‘রাম-লীলা’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সম্পর্কের ইতিবাচক পরিণতি হয়েছে। তাঁরা বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর এ পর্যন্ত তাঁদের যত খবর জানা গেছে, তা থেকে এটা স্পষ্ট, বলিউডের এই তারকা দম্পতি সুখেই আছেন।এবার জানা গেছে, রণবীর কাপুর আর দীপিকা পাড়ুকোন আবার কাছাকাছি এসেছেন। শুধু তা-ই নয়, বলিউডের একসময়ের এই রোমান্টিক জুটি একসঙ্গে বসে কফির কাপে চুমুক দিয়েছেন। তাঁদের এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।বিটাউনে অনেক দিন ধরেই রণবীর কাপুর আর দীপিকা পাড়ুকোনের একসঙ্গে কাজ করা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি তাঁরা একটি কফি কোম্পানির বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য শুটিং করেছেন। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে দেখা গেছে, দুজন একসঙ্গে বসে কফি খাচ্ছেন। ছবিতে তাঁরা খুব অন্তরঙ্গ পরিবেশে ছিলেন, তা স্পষ্ট।রণবীর কাপুর আর দীপিকা পাড়ুকোনের ভালোবাসার কথা বিটাউনের কারও অজানা ছিল না। দীপিকা তখন রণবীর কাপুরের জন্য পাগল ছিলেন। এমনকি রণবীর কাপুরের নামের ট্যাটু তিনি নিজের ঘাড়ে লিখেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরও এই ট্যাটু দীপিকার ঘাড়ে ছিল অনেক দিন। এমনকি এই বলিউড সুন্দরী প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর মানসিক অবসাদের স্বীকার হন।এই জুটিকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে। তাই একসঙ্গে আবার রণবীর কাপুর-দীপিকার পর্দায় আসা নিয়ে বিটাউনে চাপা উত্তেজনা ছিল। সম্প্রতি দীপিকার স্বামী রণবীর সিংকে প্রশ্ন করা হয়, সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে যদি আপনার স্ত্রীকে কাজ করতে দেখেন, তাহলে আপনি অনিশ্চয়তায় ভুগবেন? রণবীর সিং বলেন, ‘অনিশ্চয়তায় ভোগার প্রশ্নই নেই। আমার মতো করে দীপিকাকে আর কেউ ভালোবাসতে পারবে না।’বিয়ের পর দীপিকা পাড়ুকোনকে প্রথম দেখা যাবে মেঘনা গুলজারের ‘ছপাক’ ছবিতে। এদিকে রণবীর কাপুর এখন ব্যস্ত অয়ন মুখার্জির ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির শুটিং নিয়ে।
392,582
সিলেট প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:০৪
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:০৮
সিলেট,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
ভাষাসংগ্রামীদের হাতে শিশুদের হাতেখড়ি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/152836
সিলেটে অর্ধশতাধিক ছোট্ট সোনামণির হাতেখড়ি দিয়েছেন ভাষাসংগ্রামীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক সংগঠন পাঠশালার উদ্যোগে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।সকাল ১০টায় সোনামণিদের বর্ণপরিচয় উৎসব হাতেখড়ি শুরু হয়। ছোট্ট সোনামণিদের হাতেখড়ি দেন ভাষাসংগ্রামী মনিরউদ্দিন আহমদ ও মো. আবদুল আজিজ। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভীন পুরো কর্মসূচি সমন্বয় করেন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘ভাষা আন্দোলনের কালপঞ্জি’ শীর্ষক স্মারক-পুস্তকও প্রকাশ করা হয়। শিশুদের হাতেখড়ি শেষে সুন্দর হাতের লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।বানান শুদ্ধি অভিযান: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠন কাকতাড়ুয়ার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দিনটিতে ‘বাংলা বানান শুদ্ধি অভিযান’ কর্মসূচি পালন করা হয়। সংগঠনের ১৬ শিক্ষার্থী নগরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির সাইনবোর্ডে ভুল বানান মুছে রং-তুলি দিয়ে শুদ্ধ বানান লিখে দেন। সংগঠনের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান জানান, ৬৩টি সাইনবোর্ডের ভুল বানান শুদ্ধ করার পাশাপাশি ইংরেজি বানানের স্থলে বাংলা বানান লিখে দেওয়া হয়েছে।
53,299
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুন ২০১৬, ০১:৫৭
২২ জুন ২০১৬, ০১:৫৮
গাজীপুর,রাজধানীর চারপাশ​​
0
মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/895639
মাদক ব্যবসা বন্ধ ও মাদকসেবীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।এলাকাবাসী সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, কালিয়াকৈরের মৌচাক ইউনিয়নের মৌচাক উত্তরপাড়া এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চলছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, মজনু মিয়া ও তাঁর সহযোগীরা ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করছেন। মজনু মিয়াকে মাদকসহ হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এ পথ থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিলে এলাকাবাসী তাঁকে ছেড়ে দেন। কিন্তু আবারও তিনি এলাকায় মাদক বিক্রি করছেন। মাদক ব্যবসা বন্ধ, ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গতকাল দুপুরে মৌচাক উত্তরপাড়া এলাকাবাসী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে তাঁরা মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।মৌচাক ইউপির চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন বলেন, স্থানীয় মৌচাক উত্তরপাড়ার বাসিন্দারা মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁদের সহযোগিতা দেওয়া হবে।কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
234,599
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ মে ২০১৪, ১৭:৫৫
০৪ মে ২০১৪, ১৮:০৫
-1
null
‘বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা, হুমকিতে নিরাপত্তা’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/208006
বড় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বস্তি ও অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। এখনো সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। সম্প্রতি ব্যক্তিজীবনের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়েছে। এমন অবস্থায় অর্থপাচারের প্রবণতা বাড়বে।বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমনটাই মনে করেন। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করে আসন্ন বাজেট নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনটি। সেখানেই এসব কথা বলেন সিপিডির এই সাবেক নির্বাহী পরিচালক।বিনিয়োগ সম্পর্কে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান পরিস্থিতির মৌলিক কোনো পরিবর্তন আসবে না। জাতীয় নির্বাচনের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করা হয়েছিল। মনে হয়েছিল, অর্থনীতি উল্লম্ফন দেবে—তা হয়নি। পুঁজি-পণ্যের আমদানিও কমে গেছে।প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে সিপিডির এই ফেলো বলেন, কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে আর্থিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেটে প্রাক্কলনের বড় ঘাটতি রয়েছে। বাজেটে প্রাক্কলিত আয় হয় না, আবার ব্যয়ও হয় না। একদিকে, বিনিয়োগ বন্ধ্যাত্ব রয়েছে। অন্যদিকে, আর্থিক কাঠামোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অর্থনৈতিক কোনো যুক্তিতেই এটা টেকে না। এতে অব্যাহত কর ফাঁকির সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। এটা প্রকৃত করদাতার জন্য শাস্তিস্বরূপ। এতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না। সর্বোপরি এত সুযোগ দেওয়ার পরও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ হয়নি।সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন গবেষকেরা বক্তব্য দেন। বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনা করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।আগামী অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর না কমানোর সুপারিশ করেছে সিপিডি। একই সঙ্গে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখে উন্নীত করার প্রস্তাবও দিয়েছে সিপিডি। আবার অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গবেষণা সংস্থাটি।চলতি অর্থবছরে (২০১৩-১৪) মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সিপিডি। সংস্থাটি মনে করে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা ছিল। নির্বাচনের পরও দ্বিতীয়ার্ধে বিনিয়োগ ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা রয়েছে। তাই অর্থনীতি গতি পায়নি।
70,436
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:১৬
২৮ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:১৭
আইন ও বিচার
null
বাল্যবিবাহ আইনের বিশেষ বিধান আত্মঘাতী: বিচারপতি ইমান আলী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1069017
প্রস্তাবিত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ বিধানকে ‘আত্মঘাতী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. ইমান আলী।আজ রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত দিনব্যাপী এক সেমিনারে কথাগুলো বলেন তিনি। ‘জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসমূহের অভিজ্ঞতা বিনিময়: প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই সেমিনারের শিশু অধিকার নিয়ে এক বিশেষ অধিবেশনে কথাগুলো বলেন তিনি।বিচারপতি ইমান আলী বলেন, ১৬ বছরে বিয়ের বিশেষ বিধানের পক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণকে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। এখন এই সুযোগ নিয়ে অল্প বয়সে বিয়ের হিড়িক পড়ে যাবে। অনেক অভিভাবক অল্প বয়সে গোপনে মেয়ের বিয়ে দিয়ে নয় মাস বা বছর খানেক পর মেয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের অজুহাত হিসেবে তুলে ধরে বিয়ে দেবে।ইমান আলী বলেন, অনেক বাবা-মা দাবি করেন, সন্তানের মঙ্গলের জন্য অল্পবয়সী মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। মূলত এর মাধ্যমে এসব অভিভাবকের ব্যক্তিগত স্বার্থই চরিতার্থ হয়। দুটো কারণে তাঁরা দ্রুত বিয়ে দিতে চান। এক, তাঁরা মেয়েটির খাওয়া-পড়ার দায় থেকে মুক্তি চান। মেয়েটির সম্ভাবনা তাঁরা বিবেচনায় নেন না। দুই, বাস্তবিকভাবেই মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁরা বিবেচনা করেন।বিচারপতি ইমান আলী বলেন, উন্নত শিক্ষাই মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। এই অধিবেশনের সভাপতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, প্রস্তাবিত বাল্যবিবাহ আইনের বিশেষ বিধান নারীর উন্নয়নে দেশের অর্জনকে নষ্ট করে ফেলবে। আইনে ১৬ বছরে মেয়েদের বিয়ের যে বিশেষ বিধান রয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে আজ বিশ্ব স্বীকৃত। নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশ রোল মডেল। সেখানে প্রস্তাবিত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ বিধান পরস্পরবিরোধী। সকালে এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু।বিকেলে প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার-সংক্রান্ত আরেক অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, ভারতের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য শরদ চন্দ্র সিনহা প্রমুখ।
287,609
-1
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৪ জুলাই ২০১৪, ০০:০৩
১৪ জুলাই ২০১৪, ০০:০৩
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর
0
প্রযুক্তিপণ্যে উপহার
http://www.prothom-alo.com/technology/article/266734
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এইচপির বিভিন্ন পণ্যে উপহার দিচ্ছে কম্পিউটার সোর্স। এইচপি নোটবুক, ডেস্কটপ, ওয়ার্কস্টেশন, প্রিন্টার, কালি এবং টোনারের সঙ্গে শুধু গ্রাহক পর্যায়ে এ উপহার থাকছে। ‘ঈদ হই-হুল্লোড়’ নামে এ কর্মসূচিতে এইচপি এলিটবুক এবং জেডবুকের সঙ্গে এক হাজার টাকার গিফট ভাউচার পাবেন ক্রেতারা। এইচপি ইঙ্কজেড প্রিন্টার ও টোনারের সঙ্গেও উপহার থাকছে। —বিজ্ঞপ্তি
77,715
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ জুলাই ২০১৪, ০১:০৫
০৬ জুলাই ২০১৪, ০১:০৮
আমার চট্টগ্রাম
0
যানজট নিরসনে সফল হবে না পুলিশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/259699
প্রথম আলো: নগরের যানজট নিরসনে পুলিশের যানবাহন শাখা মাঠে নেমেছে। পুলিশ সফল হবে?সুভাষ বড়ুয়া: যানজট নিরসনে সফল হবে না পুলিশ। কারণ, নগরের জংশনগুলোর ট্রাফিক ব্যবস্থা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যেমন আমি সেদিন মিমি থেকে প্রবর্তক হয়ে যাচ্ছিলাম। গোলপাহাড় ও জিইসি মোড়ে যানজট লেগে যায়। এতে আমি নিজেই প্রবর্তক মোড়ে আটকা পড়ি।প্রথম আলো : তাহলে কী করতে হবে?সুভাষ বড়ুয়া: নগরের জংশনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেখানে সবুজ ও লাল বাতি রয়েছে। সেটার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন সবুজ বাতি বেশিক্ষণ জ্বালিয়ে রাখা হলো। কিন্ত আরেক প্রান্তে যানজট ব্যাপক আকার ধারণ করল। এ ছাড়া জংশনগুলোতে কোনো গাড়ি পার্ক করা যাবে না।প্রথম আলো : নগরের সব জায়গায় যানজটের ধরন কি একই?সুভাষ বড়ুয়া: চট্টগ্রাম নগরে একেক সড়কের সমস্যা এক রকম। একটি সড়ক বা জংশনের সঙ্গে অন্যটির মিল নেই। তাই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ট্রাফিকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেমন আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কের বাদামতলী জংশনে গাড়ি পার্ক করা থাকে। এ কারণে ওই জংশনে যানজটের সৃষ্টি হয়। এটা এক ধরনের সমস্যা। একইভাবে নিউ মার্কেট জংশনের রাস্তাগুলো হকারদের দখলে রয়েছে। সেখানে ক্রেতারা রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে রাস্তার ওপর থামে। ফলে আর কোনো লেন উন্মুক্ত না থাকায় গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।প্রথম আলো: সমাধান কী?সুভাষ বড়ুয়া: ট্রাফিক ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাপনা না হলে যানজট সমস্যার সমাধান নেই। শত উড়ালসড়ক করেও কোনো লাভ নেই। তাই আমরা তিনটি ’ই’-এর ওপর জোর দিতে বলি। প্রথমত, ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতীয়ত, এনফোর্সমেন্ট বা যানবাহন আইনের প্রয়োগ এবং তৃতীয়ত, এডুকেশন যা রাস্তায় চলাচলের ব্যাপারে আমাদের শিক্ষা দেবে।নগর পরিকল্পনাবিদ
75,390
খুলনা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ জুলাই ২০১৬, ০০:১০
১৯ জুলাই ২০১৬, ০০:১৫
খুলনা,খুলনা বিভাগ,মহানগর
0
নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/918247
খুলনার ময়ূর নদের মধ্যে নির্মাণাধীন লিনিয়ার পার্কের স্থাপনা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম। গতকাল সোমবার সকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ময়ূর নদ সংরক্ষণবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।মতবিনিময় শেষে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সরেজমিনে পার্কের স্থাপনা ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি অবৈধভাবে নদের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণের প্রমাণ পান।১২ জুলাই প্রথম আলোর মহানগর পাতায় ‘নদ দখল করে পার্কের স্থাপনা’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেখানে ময়ূর নদের মধ্যে লিনিয়ার পার্কের স্থাপনা ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে খুলনায় এলেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে সিটি রিজিওন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিআরডিপি) আওতায় নগরের গল্লামারীতে অবস্থিত লিনিয়ার পার্কের মধ্যে ১ হাজার ৮৫০ মিটার ফুটপাত ও ছয়টি ডেক নির্মাণ করছে সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে তিনটি ডেক হবে ঘাটসহ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।গতকালের মতবিনিময় সভায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে লিনিয়ার পার্ক ও তার অবকাঠামো নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। সেখানে করপোরেশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নদ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে না। বরং পার্কের যে জমি নদের মধ্যে চলে গেছে, সেখানে স্থাপনা করা হচ্ছে। এ সময় চেয়ারম্যানের এক প্রশ্নের জবাবে করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সীমানাটি সিএস ম্যাপ অনুযায়ী করা হয়েছে। তখন চেয়ারম্যান বলেন, নদের সীমানা নির্ধারণ করা হয় আরএস ম্যাপ অনুযায়ী। সুতরাং করপোরেশনের দাবি ভুল। এরপর তিনি পার্কের সীমানাপ্রাচীর উচ্ছেদ ও স্থাপনার নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।মতবিনিময় ও সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে আতাহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুটি স্থান থেকে নদের মধ্যে নির্মাণাধীন পার্কের স্থাপনা দেখা হয়েছে। তাতে স্পষ্টই দেখা গেছে, সিটি করপোরেশন নিয়ম লঙ্ঘন করে নদের মধ্যে পার্কের স্থাপনা নির্মাণ করছে। এ কারণে স্থাপনা বা ঘাট বন্ধের পাশাপাশি নতুন করে নদের সীমানা নির্ধারণ ও প্রাচীর নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
241,556
সজীব মিয়া
education
শিক্ষা
১৪ আগস্ট ২০১৬, ০০:১৬
১৪ আগস্ট ২০১৬, ০২:০২
স্বপ্ন নিয়ে,জেনে রাখুন
0
সংগঠনে কেন যুক্তহব?
http://www.prothom-alo.com/education/article/945124
প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। অনেকে নিশ্চয়ই যুক্ত আছেন এমন বিভিন্ন দলের সঙ্গে। আবার অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, ক্লাব বা সংগঠনে কাজ করা মানে সময় নষ্ট, পড়ালেখার ক্ষতি। সত্যিই কি তাই? অন্যদের চেয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা কেন সংগঠনে যুক্ত হবেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল সোসাইটির মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর মতে, ‘সুস্থ সংগঠনগুলোতে চর্চার মাধ্যমে ইতিবাচক গুণাবলি তৈরি হয়। দায়িত্বশীলতা বাড়ে। নেতৃত্বগুণ তৈরি হয়। ধরুন, একটা সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী হয়তো নাচ-গান-আবৃত্তি কিছুই জানে না, দেখবেন তবু সে একজন “সংগঠন না করা” মানুষের চেয়ে আলাদা।’বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করেন রাজধানীর আপডেট ডেন্টাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওসামা বিন নূর। কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাত থেকে ‘কুইন্স ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়া এই তরুণ বলেন, ‘নেতৃত্বের পুরো ব্যাপারটা আমি সংগঠন থেকে পেয়েছি।’ ওসামা মাদ্রাসায় পড়েছেন। তবে নেতৃত্বের জায়গায় নিজেকে তৈরি করেছেন জাগো, বিওয়াইএলসিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে। তাঁর মতে, ‘মতামত জানানো, প্রোগ্রামের বাজেট তৈরি, স্পনসর জোগাড় করা—এসব করতে করতে অবচেতনে একটা প্রশিক্ষণ হয়ে যায়, যেটা পেশাজীবনে কাজে আসে।’‘সংগঠনে জড়িত থাকার ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস-দূত হিসেবেও কাজ করার সুযোগ মেলে।’ এমন যুক্তি তুলে ধরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) বিতর্ক ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক তানসিফ আনজার বলেন, ‘পড়াশোনা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম একে অপরের সহায়ক।’প্রতিটি ক্লাব বা সংগঠনের মৌলিক বিষয় একই। যেমন সবার মতকে শ্রদ্ধা করা, সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। এমনটাই বিশ্বাস করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রোবটিকস ক্লাবের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘যারা কম্পিউটার বা রোবট ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত, তারা নতুন কিছু সৃষ্টির আনন্দ উপভোগের সুযোগ পায়।’ উচ্চশিক্ষায় বাড়তি সুবিধা উচ্চশিক্ষায় সংগঠন বা সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পান। এর বড় প্রমাণ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র তারিক আদনান মুন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাঁর সঙ্গে কথা হলো। বললেন, ‘আমার ভর্তির ক্ষেত্রে গণিত অলিম্পিয়াডের সাফল্য খুব সাহায্য করেছে। এ ছাড়া বিতর্ক সংগঠনসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেগুলোকেও ভর্তির সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল।’তাঁর কাছে জানা গেল, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব গুরুত্বের সঙ্গে শ্রেণি–বহির্ভূত কার্যক্রমের বিষয়টি আমলে নেয়, বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির সময়। কারণ স্নাতক পর্যায়ে যাঁরা ভর্তির জন্য আবেদন করেন, তাঁদের ফলাফলসহ আইইএলটিএস বা টোয়েফল কোর্সের স্কোর প্রায় সমান থাকে। তখন নেতৃত্বগুণ আছে কি না, পাঠ্যবইয়ের বাইরে সামাজিক অন্য কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না, এসব গুরুত্ব দেওয়া হয়। নির্ভয়ে সবার সামনে সাব্বির আহমেদের কথাই ধরা যাক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নি হিসেবে যোগ দিতে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তাঁর জীবনবৃত্তান্ত দেখে জানাল, ‘ইন্টার্নি নয়। আমরা তোমাকে চাকরি দিতে চাই!’কেন? শোনা যাক সাব্বিরের কাছেই, ‘আমি বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্বের জায়গায় ছিলাম। যোগাযোগ, মানুষকে বোঝানোর দক্ষতা—এসব তো আগে থেকেই শেখা আছে। তাই চাকরি পেতে সমস্যা হয়নি।’ শুধু সাব্বির নন, এমন উদাহরণ আছে আরও। যেমন বিতর্ক সংগঠনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ফারহানা জাহানের। সংগঠনে জড়িত থাকার ফলও পেয়েছেন তিনি বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়। বলছিলেন, ‘ভাইভা বোর্ডে নার্ভাসনেস দূর করতে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ, সংগঠন করলে সব সময় মানুষের সঙ্গেই কাজ করতে হয়, কথা বলতে হয়, বোঝাতে হয়।’ মানতে হবে সময়ের ভারসাম্যপ্রতিটি সংগঠনের নিয়মিত কার্যক্রম থাকে। সংগঠনের কাজে সময় দিতে গিয়ে কি পড়াশোনার ক্ষতি হয়? নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহজাবিন হাই, ‘আমার হয় না। কারণ আমি ভারসাম্য রক্ষা করে চলি। নিজের মতো করে সময় ভাগ করে নিই।’ কেমন সংগঠনে যুক্ত হব?কে কী ধরনের সংগঠনে যুক্ত হবে, বিষয়টি নিজের পছন্দের ওপর নির্ভর করে। কেউ বিতর্ক করবে, কেউ আলোকচিত্রী হবে, কেউ আবার মূকাভিনয় কিংবা রোবটিকস ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হবে। আবৃত্তির সংগঠন, নাটকের দল...নানা দিকেই মানুষের আকর্ষণ থাকতে পারে। বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী। তিনি যোগ করেন, ‘যে সংগঠন আমাদের পরিবার, ধর্ম, সমাজ—সর্বোপরি দেশের জন্য সাংঘর্ষিক নয়, নিশ্চয়ই এমন সংগঠনেই জড়াতে হবে।’ সংগঠনগুলোকে অনুদান দেওয়া হচ্ছেআসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতিমন্ত্রীবিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আমরা সব সময় উৎসাহিত করি। সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সংগঠনগুলোকে আমরা একটা নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। সবাই যেন গুছিয়ে কাজ করতে পারে।এখন সংগঠনগুলোকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা অনুদান দিয়েছি, যেন তারা তাদের কার্যক্রম আরও এগিয়ে নিতে পারে। যেহেতু অনুদান দেওয়া হচ্ছে, আমরা চাই সংগঠনগুলোর মধ্যে জবাবদিহির জায়গা তৈরি হোক। আশা করছি, সামনের দিনে তারা আরও ভালো ভালো কাজ করবে।সংগঠনের ছায়ায় ব্যক্তি নিজেকে বিকশিত করতে পারেসৈয়দ মনজুরুল ইসলামলেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকসংগঠন মানুষকে সহনশীলতা শেখায়, একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। গত শতকের ষাট-সত্তরের দশক অবধি আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক পরিসর ছিল একরকম—পড়ার সংস্কৃতি ছিল, খেলাধুলার সংস্কৃতি ছিল। পাড়ায় পাড়ায় ছিল গ্রন্থাগার। তখনকার সংগঠন বা সংঘগুলো আবর্তিত হতো এ বিষয়গুলো ঘিরে। সুনির্দিষ্ট কিছু মূল্যবোধের ভিত্তিতে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত। পরে স্বাধীনতা-উত্তরকালে নব্য ধনবাদের উত্থান আমাদের মূল্যবোধগুলোকে প্রচণ্ডভাবে ঝাঁকুনি দিল। সেই সঙ্গে বিনষ্ট রাজনীতি, নগরায়ণ—এই প্রপঞ্চসমূহ সংগঠনের ভিত্তিকে দিনে দিনে ভোঁতা করে তুলল। আজ মানুষের মধ্যে যে অসহিষ্ণুতা, অস্থিরতা—এগুলো দূর হতে পারে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশের মাধ্যমে, শুভময় সংগঠনে নিজেকে নিয়োজিত করার মাধ্যমে। ভালো কোনো সংগঠন—সে সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াকেন্দ্রিক—যা-ই হোক না কেন, তার নির্দিষ্ট মূল্যবোধ বা আদর্শ থাকে। সেই সংগঠনের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ব্যক্তি যেমন নিজেকে বিকশিত করতে পারে, তেমনি সামাজিক সুস্থতাও আসতে পারে এই উপায়ে।
249,815
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ অক্টোবর ২০১৩, ০২:৩৮
০৬ অক্টোবর ২০১৩, ০২:৩৯
চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা
0
ঈদে আরও পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/53382
এবারের ঈদে রেলের নিয়মিত সূচির ট্রেনের বাইরে আরও পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে। ঈদের তিন দিন আগে থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে ট্রেনগুলো যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তনগর ট্রেনে আরও ৬৬টি কোচ সংযোজন করা হচ্ছে।রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ অক্টোবর থেকে ঈদের যাত্রী পরিবহন শুরু করবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ওই দিনের টিকিট ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ২ অক্টোবর। আজ রোববার ১৫ অক্টোবরের যাত্রার জন্য টিকিট বিক্রি হবে। আজই শেষ হচ্ছে এবারের ঈদের ট্রেনের টিকিট বিক্রি।রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. তাফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদের তিন দিন আগে থেকে প্রতিদিন চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রেলপথে দুই জোড়া, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথে এক জোড়া, ঢাকা-পার্বতীপুরে এক জোড়া এবং ঢাকা-খুলনা রেলপথে এক জোড়া বিশেষ ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু করবে।’মো. তাফাজ্জল হোসেন আরও বলেন, ‘এবার বিভিন্ন আন্তনগর এবং মেইল ট্রেনে আরও ৬৬টি অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হচ্ছে। ঈদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা প্রতিবছরই অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করি। এ ছাড়া ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় মুসল্লিদের ভ্রমণ স্বাচ্ছন্দ্য করতে ভৈরব থেকে এক জোড়া এবং ময়মনসিংহ থেকে আরেক জোড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছি।’চট্টগ্রাম স্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৪ অক্টোবরের টিকিট। টিকিটের জন্য স্টেশনে ভিড় ছিল। বেশির ভাগ যাত্রী টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।রেলকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোর টিকিটের চাহিদা বেশি। চাহিদা অনুযায়ী সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে ফেনী, লাকসাম, কুমিল্লা, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব ও নরসিংদীর বিপুল বাসিন্দা কর্মসূত্রে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। ঈদের সময় তাঁদের অনেকেই ট্রেন ভ্রমণকে নিরাপদ মনে করেন। তাই স্টেশনে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করেন। ঈদে চট্টগ্রামে অবস্থানরত বরিশালসহ উপকূল অঞ্চলের যাত্রীরা চাঁদপুর থেকে নৌপথে গন্তব্যে যান। তাই চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী ট্রেনে টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ কারণে এবারও নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী পরিবহন করা হবে। চাঁদপুরের পর কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীর টিকিটের চাহিদা বেশি বলে রেলকর্মীরা জানিয়েছেন। চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কুমিল্লার তরুণ আবু হাসান গতকাল সকালে তিনটি আন্তনগর গোধূলীর টিকিটের জন্য চট্টগ্রাম স্টেশনের কাউন্টারের সামনে এসে অপেক্ষা করছিলেন। টিকিট না পেয়ে তিনি হতাশ হন।
22,081
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
২৮ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:১৪
২৮ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:১৫
টেলিভিশন
0
আগামীকাল শেষ হচ্ছে ‘সেরা রন্ধনশিল্পী ২০১৬ ’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1029773
আগামীকাল শেষ হচ্ছে সেরা রন্ধনশিল্পী খুঁজে বের করার প্রতিযোগিতা। আগামীকাল রাত আটটা ৪০ মিনিটে এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে ‘সেরা রন্ধনশিল্পী ২০১৬’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। সারা দেশের সাতটি বিভাগ থেকে বাছাইকৃত মোট ৪৯ জন রন্ধনশিল্পী এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।মোট ১২টি পর্বে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেরা পাঁচজন ফাইনাল এবং গ্র্যান্ড ফিনালে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। গ্র্যান্ড ফাইনালিস্ট হলেন চট্টগ্রামের নাছরিন আক্তার সুমি, ঢাকার নাহিদ সুলতানা ও মৌরি ইসরাত খান, রংপুরের দিলরুবা বেগম এবং সিলেটের মাশিয়াত বিনতে লুত্ফুর।আগামীকালের গ্র্যান্ড ফিনালে পর্বে প্রতিযোগীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা উপকরণ ব্যবহার করে একটি সালাদ তৈরি ও পরিবেশন করবেন। এই পর্বে অতিথি বিচারক হিসেবে থাকবেন প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ব্যবস্থাপক এলড্রিজ ম্যাক ইভান, স্যুপ শেফ মো. আলী এবং এমিরেটস এয়ারলাইনসের এরিয়া ম্যানেজার খালিদ আলী জে হাসান। ফাইনাল ও গ্র্যান্ড ফিনালে পর্বে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হবে। বিজয়ীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নগদ অর্থসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরো প্রতিযোগিতাটি উপস্থাপনা করেছেন মৌটুসি বিশ্বাস।
269,245
বরিশাল অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জুন ২০১৫, ০১:৪৯
১৮ জুন ২০১৫, ০১:৫১
বরিশাল,বরিশাল বিভাগ,মহানগর
0
দখলে–দূষণে মৃতপ্রায় বরিশালের নবগ্রাম খাল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/556207
দখলে-দূষণে মৃতপ্রায় বরিশাল নগরের নবগ্রাম খাল। ময়লা-আবর্জনায় অনেক স্থানে খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই দায়। দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্নতায় সিটি করপোরেশনের কার্যত কোনো ভূমিকা নেই।তবে সিটি করপোরেশনের দাবি, দখলদারদের উচ্ছেদ, খাল খনন ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। এটি অনুমোদন হলেই খাল সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের চৌমাথা এলাকা থেকে খালের দুই পাশের বাসিন্দারা পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বেশির ভাগই বসতঘর। রুইয়া ও সোনা মিয়ার পুল এলাকায় সেতু নির্মাণের নামে সরু কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। তাতে ঢেকে আছে পুরো খাল। খান সড়ক ও পিয়ন বাড়ির সামনে দুই পাড়ে পাইলিং করে নির্মাণ করা হয়েছে বসতঘর ও দোকানপাট।স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বছরের পর বছর এভাবে চলে এলেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ খাল পরিচ্ছন্ন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ময়লা-আবর্জনা অপসারণে দেখা মেলে না পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। এর ফলে একদিকে খালটি মরে যাচ্ছে, অন্যদিকে হচ্ছে পরিবেশ দূষিত।সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল শাখার সভাপতি আক্কাস হোসেন জানান, নগরের বটতলা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ঝালকাঠির কালিজিরা নদী পর্যন্ত নবগ্রাম খালের প্রবাহ ছিল। ঝালকাঠির বিনয়কাঠি থেকে একসময় মানুষ নৌকায় করে কাঠ, চাল, সবজি নিয়ে বটতলায় আসত। কিন্তু আস্তে আস্তে খালটির বড় অংশ ভরাট হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনের ভেতরে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য দোকানপাট ও রাস্তা।নবগ্রাম খালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. কামাল সিকদার বলেন, ‘১৫ বছরেও নবগ্রাম খাল পরিষ্কার করতে দেখিনি। ময়লা-আবর্জনায় এটা এখন মশা-মাছির বাসস্থান হয়েছে।’খান সড়কের বাসিন্দা মো. কবির আহম্মেদ বলেন, ‘এটা খাল না ডাস্টবিন, বোঝার উপায় নেই। ময়লার গন্ধে এলাকায় থাকা যায় না।’ একই এলাকার মো. মিরাজ হোসেন বললেন, ‘যেটুকু খাল অবশিষ্ট আছে, তা সংস্কার ও সংরক্ষণ করলেও পানিপ্রবাহ ঠিক থাকত।’জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, নবগ্রাম খালসহ নগরের সব খালের দুই পাড় থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ, খাল খনন ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। ওই প্রকল্প অনুমোদন হলেই খাল সংস্কার ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া নবগ্রাম খাল পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, তাঁর সময়ে কোনো খাল ভরাট করা হয়নি।
146,060
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জুলাই ২০১৭, ০১:৪৮
২৬ জুলাই ২০১৭, ০১:৫১
পরিবেশ
0
টেকনাফে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড, আহত ১০
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1265786
কক্সবাজারের টেকনাফে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়ায় অন্তত দুই শ ঘরবাড়ি ও দোকানপাট লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা একে টর্নেডো বলে মনে করছেন।আহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, নুরুল আমিন (৪৫), হামিদ হোসেন (৪০), কালু মিয়া (৪০), মদিনা বেগম (৩৫), জয়নাব খাতুন (২৬), কালাচাঁন বিবি (৪২), মোরশেদ আলম (২২), আলমগীর হোসেন (১৬), সফিনা বেগম (১১) ও বদি আলম (৯)। ঘরবাড়ির চালা, টিন, গাছপালা পড়ে এরা আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঝোড়ো হাওয়ায় ওই তিনটি ওয়ার্ডের অধিকাংশ ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড ঘর, কয়েকটি সেমিপাকা ভবন, দোকানপাট, ও বিদ্যুতের খুঁটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কোনো কোনো বাড়ির চালা উড়ে গিয়ে দূরের গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটির ওপর পড়েছে। ঘর হারানো লোকজন খোলা আকাশের নিচে অসহায়ভাবে বসে আছে। টেকনাফ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম জালিয়াপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূ বেগম বাহার বলেন, কোনো কিছু বোঝার আগেই হঠাৎ টর্নেডোটি শুরু হয়। এক মিনিটেরও কম সময়ে ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পুরো ঘর ভেঙে গেছে। দুই মাস আগে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতেও তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।একই এলাকার মুদি দোকানি আলী হোসেন বলেন, তিনি দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বাতাসে তাঁর দোকান লন্ডভন্ড হয়ে যায়। নিজে আঘাত না পেলেও দোকানের অনেক পণ্যসামগ্রী বাতাসে উড়ে গেছে। টেকনাফ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, টনের্ডোর আঘাতে বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি ভেঙে গেছে। গাছপালা পড়ে অর্ধশতাধিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেগুলো মেরামতের জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। টনের্ডোতে তিনটি ওয়ার্ডে দুই শ ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ জন আহতও হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।’টেকনাফ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যাতে দ্রুত ত্রাণসহায়তা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
328,801
বান্দরবান প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ জুলাই ২০১৪, ০১:৩৫
২৪ জুলাই ২০১৪, ০১:৩৬
বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
null
উক্যচিং মারমা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/276016
তিন পার্বত্য জেলায় আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একমাত্র বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত উক্যচিং (ইউকেসিং) মারমা এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উক্যচিং বীর বিক্রমের চিকিৎসকেরা গতকাল বুধবার বলেছেন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়।বান্দরবান জেলা শহরের লাঙ্গিপাড়ার বাড়িতে গত মঙ্গলবার হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করে ৮৪ বছরের বীর বিক্রম সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বীর বিক্রমের ছেলে বাবলু মারমা বলেন, সিএমসিএইচ থেকে গতকাল দুপুরে তাঁর বাবাকে বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে নেওয়া হয়েছিল।বাবলু মারমা বলেন, তাঁদের হাতে কোনো টাকা ছিল না। ২০ জুলাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রিজিয়ন অধিনায়ক ৯৬ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। দুই দিন আগে বিজিবি ওই টাকা না দিলে চিকিৎসা করা সম্ভব হতো না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য আড়াই-তিন লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
80,408
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
১০ মার্চ ২০১৪, ০১:৪৫
১০ মার্চ ২০১৪, ০১:৪৬
খেলা,দেশের ফুটবল
null
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পেলেই আবার ঘরোয়া ফুটবল
http://www.prothom-alo.com/sports/article/165250
চলমান লিগ বন্ধ হয় বারবার। প্রতিবছরের এই ধারায় প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো দিশেহারা।গত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৩টি ম্যাচ হওয়ার পর স্থগিত হয়ে যায় প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। তখন পর্যন্ত ১০ দলের মধ্যে ৫ দলের প্রথম পর্বের ম্যাচ শেষ। শেখ জামাল ধানমন্ডি কলকাতা সফরে যাওয়ায় প্রথম পর্বে তাদের চারটি ম্যাচ স্থগিত করা হয়।কলকাতা থেকে ফিরে শেখ জামাল ২২ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দুটি ম্যাচ খেলেছে বিজেএমসি ও আবাহনীর সঙ্গে। জাতীয় দলের ভারত সফরের জন্য এরপর আবার খেলা বন্ধ। কথা ছিল, শেখ জামালের বাকি দুটি ম্যাচ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১০ মার্চ। এ দুটি ম্যাচের প্রথমটি তো হয়ইনি, দ্বিতীয়টিও হচ্ছে না ঘোষিত সময়ে।২৮ ফেব্রুয়ারির ম্যাচটা স্থগিত রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা স্কুল টুর্নামেন্টের ফাইনালের জন্য। জাতীয় দল ভারত থেকে ফিরলেও খেলা হচ্ছে না বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিসিবি আয়োজিত কনসার্টের প্রস্তুতি চলায়। ওই অনুষ্ঠান শেষে ১৫ মার্চ স্টেডিয়াম পাবে বাফুফে।নতুন করে সরকার মাঠ না নিলে ১৬ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনে আর বাধা দেখছে না বাফুফে। তাই কাল লিগ কমিটি সভায় বসে শেখ জামালের প্রথম পর্বের বাকি ম্যাচ দুটি (শেখ রাসেল ও বারিধারার বিপক্ষে) ১৬ ও ১৯ মার্চ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২০ মার্চ শুরু হবে দুই সপ্তাহের মধ্যবর্তী দলবদল। ১৭ মার্চ ড্র শেষে স্বাধীনতা কাপ মাঠে নামবে ২০ মার্চ। ৬-৭ এপ্রিল স্বাধীনতা কাপের ফাইনাল শেষে লিগের দ্বিতীয় পর্ব এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ শুরু। সে ক্ষেত্রে লিগ বন্ধ থাকবে দুই মাস। অবিশ্বাস্য!এই দীর্ঘসূত্রতার বিরুদ্ধে কথা বলে বেকায়দায় পড়েছেন মারুফুল হক। খেলা বারবার স্থগিত করায় লিগ কমিটির পদত্যাগ চেয়েছিলেন ট্রেবলজয়ী শেখ রাসেলের কোচ। তাঁকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছে লিগ কমিটি। মারুফ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে বিচারের ভার লিগ কমিটি ছেড়ে দিয়েছে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির ওপর।
57,202
মাসুদ রানা, গাজীপুর
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৪৪
১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৪৫
-1
0
আজ আখেরি মোনাজাত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/427309
জিকির-আসকার আর বয়ান শুনে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন কাটিয়েছেন লাখো মুসল্লি। আজ রোববার জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।গতকাল শনিবার সকালেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর শীতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মুসল্লিদের। ভিজে গেছে মুসল্লিদের বিছানা ও জামাকাপড়।গতকাল সকালেই টঙ্গী শহর, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। মূল প্যান্ডেলে স্থান না পেয়ে অনেকে নিজ উদ্যোগেই প্যান্ডেলের বাইরে পলিথিন শিট ও কাপড়ের শামিয়ানা টানিয়ে ইজতেমায় শরিক হয়েছেন।টঙ্গীর তুরাগতীরে ৯ জানুয়ারি শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয় ১১ জানুয়ারি। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ১৬ জানুয়ারি শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সা’দ।যৌতুকবিহীন বিয়ে: গতকাল ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুকবিহীন বিয়ে। বাদ আসর ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। কনের সম্মতিতে ও তাঁর অনুপস্থিতিতে বর এবং কনেপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এ বিয়ে। গত শুক্রবার থেকেই শনিবার আসরের নামাজের আগ পর্যন্ত অভিভাবকেরা দম্পতিদের নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকেই মোনাজাতের মাধ্যমে নবদম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয়। এবং মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর ছুড়ে দেওয়া হয়। ইজতেমায় গতকাল আসরের নামাজের পর ১৩৫ জোড়া বর-কনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।বৃষ্টির দুর্ভোগ: গতকাল সকাল থেকেই চলছে মুরব্বিদের হেদায়াতি বয়ান। আমবয়ান শুরু করেন ভারতের মাওলানা শওকত হোসেন। তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নূরুর রহমান।শনিবার ভোররাতে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এ কারণে ফজরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় একাধিক জামাতে। থেমে থেমে বৃষ্টি চলে দুপুর পর্যন্ত। তবে মুসল্লিরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে সামান্য কষ্ট হলেও ইজতেমায় ইমান, আখলাক ও দীনের বিভিন্ন বয়ান শুনে দিন কাটছে তাঁদের।কিশোরগঞ্জ সদর এলাকার রিপন হোসেন জানান, রাতে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় মালামাল ভিজে গেছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে শীত অনেক বেড়েছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর এলাকার মুসল্লি আলতাফ হোসেন জানালেন, বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে ধুলা কমেছে।ইজতেমার মুরব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, রোববার ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। জীবনের সব গুনাহ মাফ চাইতে ও পরকালের নাজাতের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করবেন মুসল্লিরা।আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু: ইজতেমা ময়দানে আসা আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বার্ধক্যজনিত রোগে ও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে বরিশালের টিকাশ্বর এলাকার আলী আজিম হাওলাদার (৬৪), গতকাল সকাল আটটার দিকে নীলফামারীর পলাশবাড়ী এলাকার গোলাম আজম খান (৫৫) ও সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভোগতারা গ্রামের বশির মিয়া (৫৫)। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে সাত মুসল্লির মৃত্যু হলো।ভ্রাম্যমাণ আদালত: ইজতেমা মাঠের আশপাশ এলাকায় গত শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে খাদ্যদ্রব্য আইনে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ১৫টি মামলা এবং ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
107,640
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ মার্চ ২০১৭, ০০:০৯
২৩ মার্চ ২০১৭, ০২:১০
-1
0
পেছনে ফেরার পদক্ষেপ?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1117069
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একটি বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ম্যাকগিল ইন্টারন্যাশনাল রিভিউতে। এটি ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির একটি প্রকাশনা। নিবন্ধের শিরোনাম ‘বালাদেশে বাল্যবিবাহ: সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট অথবা পেছনে ফেরার আত্মঘাতী পদক্ষেপ’। এতে বাংলাদেশে সম্প্রতি পাস হওয়া বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, নতুন আইনটি কার্যকর হলে কিশোরী গর্ভধারণ ও শিশুমৃত্যু কমাতে বাংলাদেশ সরকারের কয়েক দশকের যে প্রচার-প্রচারণা, তা থেকে পিছু হটা হবে। এই আইনে ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বা ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো মেয়ের ‘সর্বোত্তম স্বার্থ’ বিবেচনায় বিয়ে হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না বলে বলা হয়েছে। ম্যাকগিল ইন্টারন্যাশনাল রিভিউ
305,751