author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ইফতেখার মাহমুদ, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৪ | ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩০ | ইলিশ মাছ,বাংলা নববর্ষ,বাংলা বর্ষবরণ,পয়লা বৈশাখ,উৎসব | null | ইলিশের শানশওকত বাড়ছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1588727 | • তিন বছরে দেশের ইলিশের আকৃতি ও ওজন বেড়েছে• দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে, অন্য দেশে কমছে• বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮৬% বাংলাদেশের• ইলিশের গড় দাম গত এক বছরে ২০ শতাংশ কমেছেপয়লা বৈশাখ এলেই শহরবাসীর অনেকের মধ্যে লোকদেখানো পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ধুম পড়ে। ইলিশের দামও আকাশ ছুঁয়ে যায়। তবে এই চিত্র সারা বছরের নয়। বছরজুড়ে এখন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, দামও কমে তা মধ্যবিত্তের নাগালে। ইলিশের ওজন ও আকারও বাড়বাড়ন্ত। সব মিলিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে রাজকীয় এই মাছের শানশওকত বাড়ছে।ইলিশের আকার-আকৃতি, ওজন, প্রজনন ও দাম নিয়ে নিয়মিত জরিপ করে মৎস্য অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশের ইকো ফিশ প্রকল্প। তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে দেশের ইলিশের গড় আকৃতি ও ওজন বেড়েছে। ২০১৪ সালে ধরা পড়া ইলিশের গড় ওজন ছিল ৫১০ গ্রাম। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮৮০ গ্রাম। একই সময়ে ধরা পড়া মাঝারি আকৃতির (আধা কেজি থেকে ১ কেজি) ইলিশ ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৭ শতাংশ হয়েছে। আর জাটকা ধরার পরিমাণ ৬০ শতাংশ থেকে কমে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এতে ইলিশের গড় দামও গত এক বছরে ২০ শতাংশ কমেছে।এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকাসহ বড় শহরে ইলিশের চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এতে অনেক এলাকায় জেলেরা বেশি লাভের আশায় জাটকা ধরেন। ভোক্তারা বেশি দাম দিয়ে ওই মাছগুলো কেনেন। কিন্তু ভোক্তারা এটা না করলে জাটকাগুলো বড় হতে পারে। এতে ইলিশ বেশ কম দামে কেনার সুযোগ তৈরি হয়। তিনি বৈশাখ এলেই বেশি দাম দিয়ে ইলিশ কেনার এই মানসিকতা থেকে সরে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।মূলত ইলিশ রক্ষায় সরকারের নানা পদক্ষেপ, ইলিশের ডিম পাড়া ও বড় হওয়ার জন্য নতুন অভয়াশ্রম ঠিক করার কারণে মাছটির উৎপাদন বাড়ছে। ইলিশ ধরা যাদের মূল পেশা অর্থাৎ দেশের প্রায় ৫ লাখ জেলের সারা বছরের মোট আয়ও বেড়েছে। ইকো ফিশ প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে জেলেদের মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় ৮৪ হাজার ৬৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা হয়েছে।অবশ্য জেলেদের এই আয় বাড়ার কারণ শুধু ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নয়। ওয়ার্ল্ড ফিশের জরিপ বলছে, নদীগুলোতে পাঙাশ, আইড়, বাঘা আইর ও রিঠা মাছের উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই চার ধরনের মাছের অন্যতম প্রধান খাবার জাটকা ইলিশ। জাটকা না ধরার মৌসুমে এই মাছগুলো জাটকা খেয়ে বড় হচ্ছে। ফলে জেলেরা জাটকা না ধরে ওই চার ধরনের মাছ বেশি পাচ্ছেন। একই সঙ্গে ওই মাছগুলোর উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ওয়ার্ল্ড ফিশের হিসাবে, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশে মোট ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৭৯ হাজার টন। ওই বছর বিশ্বের ইলিশের অর্ধেক ছিল বাংলাদেশের। ৩০ শতাংশ উৎপাদন ছিল ভারতে ও বাকিগুলো মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫ লাখ ১৭ হাজার টন হয়েছে। গত বছর বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮৬ শতাংশ ছিল বাংলাদেশের। ভারত, মিয়ানমারসহ অন্য দেশগুলোতে ইলিশের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমছে।ওয়ার্ল্ড ফিশের ইকো-ফিশ প্রকল্পের প্রধান ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল ওয়াহাব প্রথম আলোকে বলেন, ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন বাড়ায় ধনীদের পাত থেকে ইলিশ মধ্যবিত্তের ঘরেও প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে ইলিশের অভয়াশ্রম এলাকাগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সংখ্যা বাড়ছে ও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হচ্ছে। ইলিশ বড় হলে পুষ্টিগুণও বাড়ে। মৎস্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, ইলিশের শরীরে থাকা চর্বি বা তেল উচ্চ রক্তচাপ ও বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, চোখ উজ্জ্বল করে, অবসাদ দূর করে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। আর ইলিশ যত বড় হবে, তার শরীরে ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ও চর্বির পরিমাণও আনুপাতিক হারে বাড়বে। | 398,021 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ মার্চ ২০১৭, ০২:২২ | ২৮ মার্চ ২০১৭, ০২:২৩ | খবর | 0 | বিশ্বের ৫০ সেরা নেতার মধ্যে স্যার আবেদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1123061 | বিশ্বের সেরা ৫০ নেতার তালিকায় আছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক ব্যবসাবিষয়ক সাময়িকী ফরচুন গত বৃহস্পতিবার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেরা নেতাদের এই বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করল সাময়িকীটি।তালিকায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ রয়েছেন ৩৭তম অবস্থানে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তিনি ছিলেন ৩২তম। এ তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার বেসবল দল শিকাগো কাবস-এর মহাব্যবস্থাপক থিও এপস্টেইন। দ্বিতীয় সেরা নেতা হয়েছেন চীনা ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবার নির্বাহী চেয়ারম্যান জ্যাক মা। আর পোপ ফ্রান্সিস আছেন তালিকার তৃতীয় অবস্থানে।স্যার ফজলে হাসান আবেদ সম্পর্কে ফরচুন-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রায় এক কোটি শরণার্থী বাংলাদেশে ফিরে আসে। একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের তাগাদা তখন চারদিকে। ঠিক এই সময় এগিয়ে আসেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। | 307,218 |
মাগুরা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ আগস্ট ২০১৫, ০১:৪০ | ৩১ আগস্ট ২০১৫, ০১:৪২ | মাগুরা,আইন ও বিচার | 0 | দুই আসামির আত্মসমর্পণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/617653 | মাগুরায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মায়ের জঠরে শিশু গুলিবিদ্ধ ও এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার আসামিদের মধ্যে দুজন আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁরা হলেন মামলার নয় নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসেন (৪৫) ও তাঁর ছেলে ১০ নম্বর আসামি সোহেল রানা (২২)।গতকাল রোববার দুপুরে মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে এই দুই আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাকিম ইমতিয়াজুল ইসলাম।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ফাউঝুল কবীর গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ইলিয়াস হোসেন ও সোহেল রানার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ থাকায় হাকিম তাঁদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় গত ২৩ জুলাই বিকেলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা খাতুন (৩৫) তলপেটে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হয় পেটের শিশুটিও। ওই রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন নাজমা খাতুন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে মা ও শিশু মাগুরায় ফিরে এসেছে। ওই ঘটনায় গুলি ও বোমার আঘাতে আহত নাজমার চাচাশ্বশুর মমিন ভুঁইয়া (৬৫) মারা যান। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাকি ইমামের চাচা।এ ঘটনায় ২৬ জুলাই নিহত মমিন ভুঁইয়ার ছেলে রুবেল ভুঁইয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী ও সমর্থক। চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ পর্যন্ত মামলার নয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. সোবহান. মো. সুমন, নজরুল ইসলাম, মো. সাগর হোসেন ও তাঁর ভাই মো. বাপ্পী, ফরিদ হোসেন, মো. লিটন ও তাঁর ভাই মো. মিল্টন এবং সেন সুমন। এ ছাড়া অন্যতম আসামি মেহেদী হাসান আজিবর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন। | 164,644 |
মোর্শেদ নোমান | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৮ | ২১ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১০ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,আইন ও বিচার | null | দুদক থেকে দায়মুক্তি পেলেন সাংসদ শামীম ওসমানও | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/430018 | জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ শামীম ওসমানকেও অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে শুরু হওয়া অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করে কমিশন। গত বছরের ১৭ নভেম্বর কমিশন অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টি অনুমোদন করার পর ১৫ ডিসেম্বর দুদক সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান অব্যাহতির বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি দিয়ে জানান। এরপর বিষয়টি শামীম ওসমানকে চিঠি দিয়ে জানানোর পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিবকে অনুলিপি দিয়ে জানানো হয়।এর আগে ২০১৪ সালের শেষ দিকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সরকারদলীয় সাংসদ এনামুল হক ও আসলামুল হককে এবং এ বছরের শুরুতে কক্সবাজারের সাংসদ সাইমুম সারওয়ার কমল ও তাঁর স্ত্রীকে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল দুদক।দুদক সূত্র জানায়, বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরোর আমলে ২০০১ সালের অক্টোবরে নারায়ণগঞ্জের জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা বরাবর শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থসম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ আসে। ব্যুরোর পক্ষ থেকে বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ডিসেম্বর মাসে ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর আরেকটি অভিযোগ আসে।২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন ব্যুরো বিলুপ্ত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশনে বিলুপ্ত ব্যুরোর সব অভিযোগ মামলা নিষ্পত্তির জন্য আলাদা একটি বিভাগ গঠন করা হয়। সে বিভাগ থেকে ব্যুরোর আমলের সবগুলো মামলা ও অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়।গত বছরের ১০ মার্চ শামীম ওসমানের বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি ২০০৭ সালে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা একই ধরনের একটি মামলার কথা উল্লেখ করে বিষয়টি অনুসন্ধান না করে নথিভুক্ত করার সুপারিশ করেন। তাঁর সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে কমিশন গত বছরের ১৭ নভেম্বর অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিষয়টি অনুমোদন করে।জানতে চাইলে দুদকের কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একই ধরনের একটি অভিযোগে দুদক মামলা করেছিল। যেহেতু একই বিষয়ে পরে আরেকটি মামলা হয়েছে, সে কারণে ব্যুরোর আমলের সেই অভিযোগটি আর অনুসন্ধান করা হয়নি।প্রসঙ্গত এক-এগারোর সেনা-সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল মামলা করে দুদক। তাঁর অনুপস্থিতিতেই ওই মামলার বিচারকাজ চলার পর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল তাঁর তিন বছরের সাজা হয়।পরে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ফিরে দণ্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শামীম ওসমান। দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত হয়। ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হলে শামীম ওসমান ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিনই তিনি মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে শামীম ওসমানের তিন বছরের সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করেন। | 108,518 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৫ মে ২০১৯, ১৩:১৪ | ২৫ মে ২০১৯, ১৩:১৪ | হলিউড | 0 | শুরু হলো পুরস্কারের পালা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1595839 | পুরস্কারের পালা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেল কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঙিনায়। সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার পাম দ’র ঘোষণা হবে শেষ দিন। কিন্তু এর আগেই অন্যান্য পুরস্কার দেওয়া শুরু হলো। গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয় ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগের পুরস্কার। এ আয়োজনে এসএসিডি পুরস্কার জিতেছে ফরাসি চলচ্চিত্রনির্মাতা রেবেকা জ্লোটভস্কির অ্যান ইজি গার্ল।ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির আয়োজনে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্যারালাল একটি বিভাগ। বিভাগটি বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের ভালো নির্মাতাদের নজর কেড়েছে। এসএসিডি কমিশন প্রধান ডমিনিক স্যাম্পেরিও ছবিটিকে মোহাবিষ্টকারী ছবি বলে উল্লেখ করেন। এবার এ শাখায় বাঘা বাঘা চলচ্চিত্রকারের সিনেমা ছিল। এর মধ্যে রবার্ট এগারের ছবি লাইটহাউস অন্যতম। ছবিটিতে উইলেম ডেফো ও রবার্ট প্যাটিনসনের মতো তারকারা আছেন। প্রতিযোগিতায় ছিল কুয়েন্টিন ডুপিয়েক্সের ডারস্কিন ও বাট্রান্ড বেনেল্লোর জম্বি চাইল্ড–এর মতো সিনেমা।দ্য ইউরোপা সিনেমাস অ্যাওয়ার্ডটি ঘরে তুলেছে নিকোলাজ পারিসারের পলিটিক্যাল ড্রামা অ্যালিস অ্যান্ড দ্য ম্যাওর। এই পুরস্কারটি ইউরোপে সিনেমার প্রচার, বিতরণ ও পরিবেশনার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। চারজন পরিবেশক পুরস্কারটি দিয়ে থাকেন। অ্যান ইজি গার্ল একজন তরুণীকে ঘিরে। এটা জ্লোটভস্কির চতুর্থ সিনেমা। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন মিনা ফরিদ, জাহিদ দেহার, বেনোইত ম্যাজিম প্রমুখ।এ ছাড়া পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে সিনেফন্ডেশন বিভাগের। শিক্ষার্থী নির্মাতাদের বিভাগ এটি। বিভিন্ন দেশের ফিল্মস্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বিভাগটিতে এবারে পুরস্কার জিতল লুই কোরভয়জিয়ের পরিচালিত মানো আ মানো। গত বৃহস্পতিবার বিভাগের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই বিভাগের বিচারকদের সভাপতি ছিলেন ফরাসি নারী নির্মাতা ক্লেয়ার ডেনিস। মানো আ মানো ছবিটি দুজন সার্কাস অ্যাক্রোব্যাটকে ঘিরে। তাদের প্রেম–ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়ে ছবির গল্প। দ্বিতীয় পুরস্কারটি ঘরে তুলেছে মার্কিন তরুণ রিচার্ড ভ্যানের হিউ সিনেমাটি। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থী উইসাম আল জাফারির অ্যামবিয়েন্স ও পোল্যান্ডের শিক্ষার্থী বারবারা রুপিকের দ্য লিটল সৌল।১৯৯৮ সালে শুরু হয় সিনেফন্ডেশন বিভাগ। এবার এর ২২ তম আসর বসে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৬৬টি ফিল্ম স্কুলের দুই হাজার ছবি এবার জমা পড়ে। ভ্যারাইটি, দ্য হলিউড রিপোর্টার, ডেডলাইন | 403,498 |
-1 | sports | খেলা | ১০ মার্চ ২০১৭, ০২:০১ | ১০ মার্চ ২০১৭, ০২:০২ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | টুকিটাকি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1103422 | বার্সেলোনাই প্রথম দল, যারা চ্যাম্পিয়নস লিগ কিংবা ইউরোপিয়ান কাপে প্রথম লেগে ৪ গোলে পিছিয়ে থেকেও পরের রাউন্ডে উঠল।রেকর্ড টানা দশবার চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা।ক্রিস্টিয়ানোর রোনালদোর ১১টি পেনাল্টি গোলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন লিওনেল মেসি।মাত্র পঞ্চম আফ্রিকান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিক করেছেন পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। | 301,341 |
শাহাবুল শাহীন, গাইবান্ধা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫২ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫২ | গাইবান্ধা,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | null | গ্রামে গ্রামে অশ্লীল নাচের আসর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/142822 | ‘ভাইসব! হইহই কাণ্ড, রইরই ব্যাপার। আজ রাতে দেখবেন একঝাঁক ডানাকাটা পরির নাচ। আজই আসুন নয়ন-মনকে সার্থক করুন।’ লোক টানতে গাইবান্ধার গ্রামগুলোতে এভাবেই চলছে মাইকিং। আর এই অশ্লীল নাচ-গানের আড়ালে অবাধে চলছে জুয়ার আসর।গাইবান্ধা সদরসহ সাতটি উপজেলার ৫৬টি স্থানে প্রকাশ্যে এসব জুয়া ও অশ্লীল নাচ চললেও পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। জেলা প্রশাসকও এসব আসরের কোনো অনুমতি দেননি বলে জানিয়েছেন।স্থানীয় লোকজন ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, শীত মৌসুম শুরুর পর থেকেই গাইবান্ধায় এ ধরনের জুয়ার আসর চলছে। এতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় এসব খেলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাইবান্ধা শহরের এক কলেজশিক্ষক বলেন, বেশির ভাগ আসরের আয়োজক সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশও তাঁদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে।প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত সার্কাস ও যাত্রা চালানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। পরে পুলিশ নিরাপত্তার সমস্যা হবে না বলে প্রতিবেদন দিলে জেলা প্রশাসন কিছু শর্তারোপ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এর অনুমতি দিয়ে থাকে। শর্তের মধ্যে রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে মাইক ব্যবহার, সারা রাত আসর না চলা, অশ্লীল নাচ ও জুয়ার আসর বসানো থেকে বিরত থাকা।সম্প্রতি পলাশবাড়ী উপজেলার ফকিরহাট বাজারের পাশে সুসজ্জিত প্যান্ডেলে এমন একটি আসর দেখতে পাওয়া যায়। ওই স্থানে ২৯ ডিসেম্বর থেকে আনন্দ মেলার নামে অশ্লীল নাচ, হাউজি ও জুয়া খেলা চলছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। ফকিরহাট এলাকার আবু তাহের মন্ত্রণালয়ে চাকরির প্রভাব খাটিয়ে ও পুলিশকে উৎকোচ দিয়ে আসর চালাচ্ছেন।ওই গ্রামের ব্যবসায়ী মামুন মিয়া জানান, প্রতিদিন উপজেলার হরিণাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল আজিজকে ছয় হাজার, পলাশবাড়ী থানার ওসিকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ও কয়েকজন সাংবাদিকও প্রতিদিন এই আসর থেকে টাকা পান।ফকিরহাট গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, জুয়ার টাকা জোগাড় করতে এলাকায় চুরি বেড়েছে। এক সপ্তাহে একটি মোটরসাইকেলসহ একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ২১ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।অভিযুক্ত আবু তাহের পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি করেন। এ ব্যাপারে আবু তাহের মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি মন্ত্রী-সচিব নই যে প্রভাব খাটিয়ে এসব চালাব। এলাকার ছেলেরা আনন্দ মেলার নামে জুয়া চালাচ্ছে। আমি কেবল সহযোগিতা করেছি।’ তবে উপপরিদর্শক আবদুল আজিজ উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।সাদুল্যাপুর উপজেলার পচার বাজার এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে আনন্দ মেলার নামে সার্কাস চলছে। সার্কাসকে সামনে রেখে আলাদা মঞ্চে চলছে হাউজি, লটারি ও নানা ধরনের জুয়া খেলা। উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের পচার বাজার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম এসব চালাচ্ছেন।গ্রামের শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, সার্কাস বিনোদন দিতে পারে। কিন্তু এর দোহাই দিয়ে জুয়া খেলা চালানোর কারণে সাধারণ মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। আয়োজক সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, মানুষের বিনোদনের জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই আয়োজন করা হয়েছে। সাঘাটা উপজেলার উল্যা সোনাতলা গ্রামের পরিত্যক্ত উত্তরা প্রেক্ষাগৃহে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ফরিদ মিয়া, মো. চপল ও রুবেল মিয়া বিচিত্রার নামে অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন করেছেন। এর প্রবেশ মূল্য ১০০-২০০ টাকা। পাশাপাশি চলছে ফর-ডাব্বু জুয়া খেলা।ওই গ্রামের কৃষক সুজা মিয়া বলেন, ‘শীত আলেই হামারঘরে গায়োত গানবাজনার হিরিক পড়ে। ওমরা (আয়োজক) পুলিশোক ট্যাকা দিয়া গান চলায়, আর হামারঘরে ছোলপলের পরাশুনে নসটো হয়।’একই গ্রামের ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিচিত্রা দেখার জন্য সিনেমার মতো পোস্টারিং, মাইকিং ও ডিস লাইনে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিচিত্রা দেখতে গিয়েছিলাম। অশ্লীলতা দেখে লজ্জায় বেরিয়ে এসেছি।’আয়োজক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘আমি এই আয়োজনের সঙ্গে নেই। তবে এলাকার ছেলেরা চালাচ্ছে।’গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, জেলায় যাত্রা-জুয়া চলছে, এমন কোনো খবর নেই। তবে পুলিশের নজরে এলে সেগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. এহছানে এলাহী বলেন, জেলায় সার্কাস ও যাত্রা চালানোর কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে দুটি যাত্রামঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। | 50,075 |
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ আগস্ট ২০১৭, ০২:১৮ | ২৬ আগস্ট ২০১৭, ০২:১৮ | অপরাধ | 0 | চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1302521 | হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি করার অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৭৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের এ বরাদ্দ বিতরণ করতে গিয়ে নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম করেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চুনারুঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিরাজাম মুনিরা প্রাথমিক তদন্তে নানা অনিয়ম খুঁজে পান। পরে ইউএনও এসব দুর্নীতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগের মধ্যে রয়েছে উপজেলার হাজী আলিম উল্লাহ মাদ্রাসার ও গণপাঠাগারের জন্য ৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, নুর মোহাম্মদ ফাজিল মাদ্রাসা ও পাঠাগারের উন্নয়নে ৭ লাখ ১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়। এ ছাড়া দেওরগাছ মসজিদসহ উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে। কিন্তু ইউএনও এ অর্থের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, এ অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়নি। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে মনে করে উপজেলা প্রশাসন।অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার নাজমানারা খানুম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. মতিউর রহমান ও একই বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া গত বৃহস্পতিবার চুনারুঘাট উপজেলা সদরে আসেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা, চুনারুঘাটের ইউএনও সিরাজাম মুনিরাসহ উপজেলার পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা। তাঁরা ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযোগের তদন্ত করেন এবং চুনারুঘাট শিশু নিকেতন, হাজী আলিম উল্লাহ মাদ্রাসা, নুর মোহাম্মদ ফাজিল মাদ্রাসা ও দেওরগাছ মসজিদ কমিটির সভাপতি/সম্পাদকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পে অনিয়ম করার অভিযোগের বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের বলেন, যে অভিযোগের বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত চলছে তার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। কারণ তিনি কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন না। একটি চক্র তাঁর বিরুদ্ধে ইউএনওকে লাগিয়ে দিয়ে বদনাম ছড়াচ্ছে। ঘটনা যা ঘটেছে তা হচ্ছে আগের ইউএনও একটি মাদ্রাসার জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে গেলেও বর্তমান ইউএনও তা আটকে রেখেছেন। এ নিয়ে তিনি কথাবার্তা বলছেন ইউএনওকে।এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. মতিউর রহমানের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করলে তিনিও ফোন ধরেননি। তবে চুনারুঘাটের ইউএনও সিরাজাম মুনিরা বলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার নাজমানারা খানুমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল গত বৃহস্পতিবার চুনারুঘাটে এসে অভিযোগগুলো তদন্ত করে গেছেন। | 335,036 |
রাহীদ এজাজ, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ মার্চ ২০১৮, ১১:৫৯ | ৩১ মার্চ ২০১৮, ১৬:৫৩ | আমেরিকা | null | মার্কিন নিরাপত্তা পরিকল্পনায় যেতে সময় নেবে বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1460651 | আইপিএসে যুক্ত হতে সময় নেবে বাংলাদেশগওহর রিজভীর সঙ্গে দেখা করেন লিসা কার্টিসদুশ্চিন্তা চীনকে নিয়েঅস্ত্র বিক্রিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রযুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে (আইপিএস) বাংলাদেশ কীভাবে যুক্ত হবে, সেটা ওয়াশিংটন স্পষ্ট করেনি। তা ছাড়া আইপিএসে কীভাবে কাজ হবে, তা এখনো বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেনি ওয়াশিংটন। তাই জাতীয় নিরাপত্তার অন্যতম অংশ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন স্বচ্ছতা, সার্বভৌমত্ব, আইনের শাসনসহ বেশ কিছু মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইপিএসে যুক্ত হতে সময় নেবে বাংলাদেশ।বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপসহকারী লিসা কার্টিসের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরে অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার ছিল আইপিএস। সব আলোচনাতেই তিনি বিষয়টি তুলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বিষয়টি নিয়ে কিছুটা সময়জুড়ে আলোচনা করেছেন। দুই আলোচনাতেই তাঁকে খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এ সম্পর্কে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়া হোক। এসব দেখে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে।মার্চের প্রথম সপ্তাহে তিন দিনের বাংলাদেশ সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অন্যতম জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিসা কার্টিস মূলত রোহিঙ্গা সমস্যা, আইপিএসে বাংলাদেশকে যুক্ত করা এবং বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের ওপর জোর দেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে আলোচনায় তিনি দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানো ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির প্রসঙ্গগুলো তোলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাঁর সেই চাওয়াটি পূরণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর সঙ্গে দেখা করেন লিসা কার্টিস।ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টার সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় উপস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিসা কার্টিস আইপিএসে বাংলাদেশকে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানোর সময় গত বছরের জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর প্রচারিত যৌথ ঘোষণার প্রসঙ্গ টানেন।এ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ “ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে” ট্রাম্প প্রশাসন যে বাংলাদেশকে চায়, সেটি লিসা কার্টিস বলেছেন। তবে আমরা তাঁকে বলেছি, এ ধরনের কোনো প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলে তা নিয়ে যে কারও বিস্তারিত জানাটা জরুরি। তাই যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এই কৌশল বাস্তবায়ন করবে আর বাংলাদেশের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে আমরা জানতে চেয়েছি।’বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা জানান, গত জুনে প্রচারিত মোদি-ট্রাম্প যৌথ বিবৃতিতে আইপিএসে নৌ ও বিমান চলাচলের পাশাপাশি অবাধ বাণিজ্যের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সব ধরনের আঞ্চলিক ও সামুদ্রিক বিরোধের নিষ্পত্তির কথা এতে বলা আছে। সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন ও ঋণের অর্থের দায়িত্বশীল ব্যবহারের মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত, আইনের শাসন ও পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রসঙ্গটি রয়েছে আইপিএসে।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের সঙ্গে যোগসূত্রগত বছরের মাঝামাঝি থেকে আইপিএসের কথা বেশ জোরের সঙ্গে প্রচার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল গৃহীত হওয়ার পর তারা এখন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলোকে এতে যুক্ত করার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর বলতে ভারত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলকে ধরা হয়েছে। এই অঞ্চলটিকে যুক্তরাষ্ট্র তার ভাষায় অবাধ ও মুক্ত দেখতে আগ্রহী। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেও দেশটি আর্থিক হাতিয়ারকে পুঁজি করে এই অঞ্চলে রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ হাসিলে আগ্রহী। অবকাঠামোতে বিনিয়োগ আর বাণিজ্য কৌশলের মধ্যে চীনের ভূরাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উত্তর কোরিয়াকে চীনের মদদ দেওয়া এবং জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ এসেছে। উদীয়মান বিশ্বশক্তি হিসেবে ভারতের উত্থান এবং দেশটির সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত সহযোগিতাকে বিবেচনায় নিয়ে ভারতের পাশাপাশি জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে এই অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের। সার্বিক বিবেচনায় জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক ও নিরাপত্তা-এই তিন ধাপে লক্ষ্য অর্জনের পথে এগোবে যুক্তরাষ্ট্র।আইপিএসে বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ধারণা, ওই কৌশলে বড় একটি নেতিবাচক উপাদান আছে। যা হচ্ছে চীনকে আটকানো। যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে এক পক্ষের লাভ হিসেবে দেখতে চায়। কিন্তু আমরা এটিকে দুই পক্ষের লাভ হিসেবে দেখতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত প্রক্রিয়ায় আমরা কতটা সুফল পাব, সেটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। পুরো বিষয়টিকে দেখতে হবে সহযোগিতার প্রেক্ষাপট থেকে। প্রতিযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দুই দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো, তাই সমদূরবর্তী অবস্থানে থেকে অপেক্ষা করার নীতিই গ্রহণ করা উচিত।’দুশ্চিন্তা চীনকে নিয়েযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল পর্যালোচনার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের সরব উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রকে যে যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় বিপুল বিনিয়োগ ট্রাম্পের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। কাজেই এই অঞ্চলে চীনকে প্রতিরোধের নতুন কর্মকৌশল যে আইপিএস, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে চীন বিপুল অর্থ নিয়ে যেভাবে এগিয়ে আসছে, তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে রীতিমতো অসম্ভব। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে অস্বস্তির বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র তুলেছে। বাংলাদেশ অবশ্য স্পষ্ট করেই বলেছে, উন্নয়নের যাত্রায় যে দেশ সঙ্গী হবে, সেই দেশকেই নেবে বাংলাদেশ। তবে যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিকে নিয়ে এ প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে, তাই সবকিছু বুঝেই আইপিএসে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে অন্য দেশগুলো এতে কীভাবে থাকবে, সেটিও বাংলাদেশ দেখতে চায় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।অস্ত্র বিক্রিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রগত এক দশকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা নিবিড় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ঢাকা সফরের সময় লিসা কার্টিস তাঁর সন্তুষ্টির কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে আলোচনায় তিনি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। কৌশলগত ভারসাম্য আনার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের অস্ত্র কেনার প্রসঙ্গ টানেন লিসা কার্টিস।আরও দ্রুততার সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের লক্ষ্যে তথ্য আদান-প্রদানের পরিধি বাড়ানোর প্রসঙ্গ টানেন লিসা কার্টিস। এখন দুই দেশ সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি, কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে একে অন্যকে সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু বিষয়টি যদি এমন হয়, এক দেশ অন্য দেশের সন্দেহভাজনদের বিস্তারিত তালিকা বিনিময় করবে, তখন সহিংসতা ঘটার আগেই তা দমন করা যাবে। এ নিয়ে বাংলাদেশের যুক্তি হচ্ছে একটি সমন্বিত আইনি প্রক্রিয়া কিংবা চুক্তির আওতায় এটা হতে পারে। তা না হলে এটা সম্ভব নয়।লিসা কার্টিস তাঁর আলোচনায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের অভিযানে সামরিক বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর জন্য উন্নততর প্রশিক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামর্থ্য বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন।আইপিএসে বাংলাদেশের যুক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশলের কথা বলছে, তাতে আরও স্বচ্ছতা থাকা বাঞ্ছনীয়। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই সবার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগে যুক্ত হয়ে যাতে কারও বিরুদ্ধে না যাই, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা উচিত। সমুদ্রপথে সহযোগিতার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আসছে, অবস্থানগত সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে এর সুফল পাওয়া উচিত। এটি করতে হলে আমাদের উদ্যোগী হয়ে নীতিগত অবস্থান ঠিক করতে হবে। | 359,578 |
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ০২:০৯ | ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ০২:১০ | বদরগঞ্জ,রংপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | বদরগঞ্জের সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1015901 | রংপুরের বদরগঞ্জের মোখলেছার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গতকাল রোববার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ক্লিনিক পরিচালনার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আদালত প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদিকে প্রসূতি ও দুই নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান সেন্টারটি সিলগালা করে দেন।গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বদরগঞ্জ পৌরসভার জামুবাড়ি সরদারপাড়া গ্রামের মাজেদা বেগম প্রসবব্যথা নিয়ে মোখলেছার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। এরপর সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই সন্তানের জন্ম দেন। বেলা দেড়টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মা ও দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় গত শনিবার প্রথম আলোয় ‘অস্ত্রোপচারের পর মা ও দুই নবজাতকের মৃত্যু’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট সৈয়দা শাহনাজ নাসরুল্লাহকে। তিনি গতকাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেন।জানতে চাইলে মনোয়ারা বেগম বলেন, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। | 263,020 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১১ জুন ২০১৯, ১২:৩৬ | ১৬ জুন ২০১৯, ১৩:৪৮ | আরব বিশ্ব,ইরান,জাতিসংঘ | null | ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে গতি বাড়িয়েছে: জাতিসংঘ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1598539 | ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে গতি সঞ্চার করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান ইয়ুকিয়া আমানো। গতকাল সোমবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সংস্থার বের্ড অব গভর্নরসের ত্রৈমাসিক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে জাতিসংঘের এই আন্তর্জাতিক সংস্থা এমন খবর দিল। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি যথেষ্ট কার্যকর ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন চুক্তি করতে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধসহ নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন ট্রাম্প।গত মে মাসের শুরু থেকে অবরোধ আরও আঁটসাঁট করেছে ওয়াশিংটন। সব দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর ইরান থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করলে বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থা থেকে নির্বাসনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইরানের হুমকি মোকাবিলা করতে পারস্য ভূমধ্যসাগরে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।ওয়াশিংটনের এই অবরোধের জবাবে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হুমকি দিয়েছে। ইরান জানিয়েছে, ইউরোপীয়দের মধ্যে যাঁরা এখনো পারমাণবিক চুক্তি সমর্থন করছেন, তাঁরা যদি তেহরানকে প্রতিশ্রুত আর্থিক সুবিধা দেয়, তবে ইউরেনিয়ামের হুমকি বাড়তে দেবে না ইরান।ইয়ুকিয়া আমানো বলেন, আগের চেয়ে ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান। তবে পারমাণবিক চুক্তি অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়ামের মজুত সীমা অর্জন করেছে কি না, সে ব্যাপারে কিছু বলেনি আইএইএ। পারমাণবিক চুক্তির সঙ্গে ইরানের কার্যক্রমের সামঞ্জস্য পর্যবেক্ষণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।গত মাসে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটি এখনো পারমাণবিক চুক্তি মেনে চলছে। তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির হার চতুর্গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। সে ক্ষেত্রে ইউরেনিয়ামের মজুত সীমা অতিক্রম করে যেতে পারে। অর্থনৈতিক অবরোধের ব্যাপারে ইউরোপীয় দেশগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইরান।গতকাল জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস ইরান সফরে যান। গত মাস থেকে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যকার উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর বয়োজ্যেষ্ঠ পশ্চিমা কর্মকর্তা হিসেবে ইরানে পা রাখলেন তিনি। | 405,508 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০২ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৪৪ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৫৬ | যুক্তরাষ্ট্র | 0 | ‘ন্যাশনাল ক্রিসমাস ট্রি’তে শেষবার আলো জ্বালালেন ওবামা | http://www.prothom-alo.com/international/article/1032393 | বড়দিন উৎসবের বিখ্যাত ‘জিঙ্গেল বেল’ গানের সঙ্গে নেচে-গেয়ে ‘ন্যাশনাল ক্রিসমাস ট্রি’ আলোকসজ্জায় অংশ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ন্যাশনাল ক্রিসমাস ট্রিতে এটাই তাঁর শেষবারের মতো আলোক প্রজ্বালন।খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন পালন করা হয় ২৫ ডিসেম্বর। আর এ উৎসবের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে ‘ক্রিসমাস ট্রি’। নানা রঙের বাতি ও উপকরণ দিয়ে সাজানো হয় এই ক্রিসমাস ট্রি।টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো বারাক ওবামা দেশটির জাতীয় ক্রিসমাস ট্রি আলো দিয়ে সাজিয়েছেন। এই ছুটির মৌসুমে অসুস্থ, ক্ষুধার্ত ও নিপীড়িত মানুষের প্রতি খেয়াল রাখা এবং যিনি যেমন আচরণ প্রত্যাশা করেন, তাঁর প্রতি তেমন আচরণ করার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এবারের জাতীয় ক্রিসমাস ট্রিতে আলোক প্রজ্বালন করা হয়।প্রেসিডেন্ট হিসেবে আট বছরের কাজে আলোকপাত করে ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সংকট, যুদ্ধবিগ্রহ ও জাতীয় পর্যায়ের বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে এসেছে।তিনি বলেন, ‘এই সময়ে আমি উদার, আশাবাদী ও প্রাণবন্ত মানুষ দেখেছি, যাঁরা একে অপরের দিকে খেয়াল রাখেন।’১৯২৩ সাল থেকে বড়দিন উপলক্ষে হোয়াইট হাউস বেষ্টনীতে দক্ষিণ দিকে প্রেসিডেন্ট পার্কে ক্রিসমাস ট্রিতে আলোকসজ্জার এই উৎসব পালনের ঐতিহ্য শুরু হয়। কন্যা সাশার সহায়তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা লাল, সাদা ও নীল বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রিকে সাজিয়েছেন এবার।অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন অভিনেত্রী ইভা লংগোরিয়া। এতে আরও অংশ নেন গার্থ ব্রুকস, ট্রিশা ইয়ারউড, কেলি ক্লার্কসন, মার্ক অ্যান্টনি, ইয়োলান্ডা এডামস, জেমস টেলর প্রমুখ। | 270,511 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | economy | অর্থনীতি | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫৫ | ০৬ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৯ | বাণিজ্য সংবাদ,জ্বালানি,গাড়ি নিয়ে | null | জ্বালানিসাশ্রয়ী দুটি গাড়ি আনল উত্তরা মোটরস | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1580843 | আধুনিক হাইব্রিড প্রযুক্তির ও লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিযুক্ত সুজুকি ব্র্যান্ডের ১৫০০ সিসি ইঞ্জিনক্ষমতার দুটি নতুন গাড়ি বাজারে এনেছে উত্তরা মোটরস। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি দুটির বাজারজাতকরণের উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ের উত্তরা সেন্টারে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উত্তরা মোটরস। অনুষ্ঠানে পেট্রল ইঞ্জিনযুক্ত সুজুকি সিয়াজ ও আরটিগো মডেলের গাড়ি দুটির বাজারজাতের উদ্বোধন করেন উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সুজুকি সিয়াজ গাড়িটি বাজারে বিক্রি হবে ২৪ লাখ টাকায় আর আরটিগো গাড়িটি বিক্রি হবে ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। গাড়ি দুটি দুই থেকে সর্বোচ্চ চার বছরের কিস্তিতেও কেনা যাবে। এ জন্য ব্যাংক থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থাও করবে উত্তরা মোটরস।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুজুকি সিয়াজ গাড়িটি প্রতি লিটার পেট্রলে চলবে ২০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার আর আরটিগো গাড়িটি চলবে ১৮ দশমিক ৬৯ কিলোমিটার। আরামদায়ক আসনযুক্ত সিয়াজ গাড়িতে রয়েছে চারটি আসন, আর আরটিগোতে আছে সাতটি আসন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আরটিগোতে আসনসংখ্যা বেশি থাকায় তা পরিবারের বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগবে।অনুষ্ঠানে মতিউর রহমান আরও বলেন, গাড়ি দুটির জন্য তিন বছরের পূর্ণ ওয়ারেন্টি দেওয়া হবে। এই তিন বছরে ক্রেতাদের ১২টি সার্ভিস বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। ফলে এই তিন বছরে ক্রেতাদের তেল কেনা ছাড়া অন্য খরচ করার প্রয়োজন পড়বে না। এ ছাড়া পরিবেশের কথা চিন্তা করে উত্তরা মোটরস এই দুটি মডেলের গাড়িতে ব্যবহৃত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ১০ বছর পর নিজ খরচে সিঙ্গাপুরে নিয়ে পুনর্ব্যবহার উপযোগী করবে। এ ছাড়া সম্ভাব্য ক্রেতাদের জন্য পরীক্ষামূলক ড্রাইভেরও সুযোগ রাখছেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুজুকি ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অনিল সাইনি, গৌরব গুপ্ত, উত্তরা মোটরসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান ও ডুরান্ড মেহদাদুর রহমানসহ অন্য পরিচালক, হেড অব বিজনেস প্ল্যানিং নাঈমুর রহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের উত্তরা সেন্টারের এক্সপেরিয়েন্স জোনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গাড়ি দুটি সম্পর্কে কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের আরও বিশদভাবে অবহিত করেন ।উত্তরা মোটরস জন্মলগ্ন থেকেই সুজুকি গাড়ি আমদানি ও বাজারজাত করে আসছে। দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠানটি ১৪টি শাখা কার্যালয় ও পাঁচটি পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রেতাদের গাড়ির বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে আসছে। | 391,733 |
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ মে ২০১৬, ০১:৪২ | ২৪ মে ২০১৬, ০১:৪২ | নির্বাচন,আইন ও বিচার | 0 | জরিমানা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/866839 | আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের চারজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও তিনটি ইউপির ২৩ জন সদস্য পদপ্রার্থীকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত শনি ও রোববার এই আদালত পরিচালনা করেন তিতাসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। আদালত কলাকান্দি ইউপিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহার, দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী ইব্রাহিম, ভিটিকান্দি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল হোসেন মোল্লা ও বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জাকির হোসেন মুন্সীকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানা হওয়া বাকি ২৩ জন কলাকান্দি, ভিটিকান্দি ও বলরামপুর ইউপির সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পদপ্রার্থী। তাঁদের মোট ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। | 225,696 |
এলেন ব্যারি | opinion | মতামত | ১২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০২ | ১২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০২ | আন্তর্জাতিক,মতামত | null | চীনের পরিকল্পনা নজরদারি করবে নতুন সরকার | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/421387 | চার মাস আগে এক রোববারে একটি নৌযান বিনা নোটিশে কলম্বো পোতাশ্রয়ে ঢুকে পড়ে। এটি ছিল চীনা সাবমেরিন গ্রেট ওয়াল নম্বর ৩২৯। এটা টর্পেডো ও ক্রুজ মিসাইল বহনে সক্ষম। এতে ৩৬০ পাউন্ড ওজনের ওয়ারহেডও ছিল।শ্রীলঙ্কার সে সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এটা ‘পরিচালনাগত শুভকামনার’ সফর বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এর প্রভাব সুদূর নয়াদিল্লিতেও অনুভূত হয়। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে। চীন ভারতের পেছনের উঠানে পৌঁছে গেছে, আর সেটা ঘটেছে শ্রীলঙ্কার তখনকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের আশীর্বাদে।কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে চীনের যত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই থাকুক না কেন, সেই স্বপ্ন তাদের উবে গেছে। কারণ, গত বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে আকস্মিকভাবেই মাহিন্দা রাজাপক্ষে পরাজিত হয়েছেন।অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স স্টাডিজ সেন্টারের অতিথি অধ্যাপক ডেভিড ব্রিউস্টার বলেন, যে সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে, তাদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে এ মূল্য দিতে হয়। ‘আপনি ভাবলেন, শুধু একজনের সঙ্গে কাজ করলেই হলো। আর তারপর যদি তাঁকে হারান, তাহলে সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’কয়েক বছর ধরেই চীনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যখন পশ্চিম রাজাপক্ষেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে, তখন চীন তাঁকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই ঋণের টাকায় নতুন নতুন বন্দর ও সড়ক হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। ফলে প্রতিবেশী দেশ ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে। রাজাপক্ষে ঐতিহ্য ভেঙে শ্রীলঙ্কার মাটিতে চীনা সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিতে একরকম প্রস্তুত ছিলেন।কলম্বোর সমুদ্রতীরবর্তী অংশে গেলে চকচকে আধুনিক ক্রেনের দেখা মিলবে। সেখানে সেপ্টেম্বর মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘বন্দরনগর’ নির্মাণের উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্যে আছে মল, হোটেল ও মেরিন। এর বাইরে আরও কিছু প্রকল্পে চীনা বিনিয়োগ রয়েছে, যার পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলার। ফলে বিপুলসংখ্যক চীনা নির্মাণকর্মী শ্রীলঙ্কায় কাজ করছেন। স্থানীয় একটি পত্রিকার সংবাদ অনুসারে, স্থানীয় শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা দোভাষী হিসেবে কাজ পাওয়ার জন্য ম্যান্ডারিন ভাষা শেখা শুরু করেছেন।কিন্তু এসব চীনা বিনিয়োগ সেখানে নানা বিরক্তিও সৃষ্টি করে। সেপ্টেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শ্রীলঙ্কা সফরের আগে কলম্বোভিত্তিক দ্য সানডে টাইমস লেখে, যে গতি ও গোপনীয়তার সঙ্গে চীনাদের নির্মাণকাজ চলছে, তাতে তা ‘খুব নরমভাবে বললে, শ্রীলঙ্কা যে চীনের পকেটে চলে গেছে—এ ভীতি ও আশঙ্কার পালে হাওয়া দেয়।’ ভোটাররা অভিযোগ করেছেন, চীনা নির্মাণ প্রকল্পগুলো বিশালাকার হলেও সেখানে মূলত চীনা শ্রমিকেরাই কাজ করছেন। আর বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, চীনের কাছে তাঁদের ঋণের বোঝা ক্রমে বাড়ছেই।মাইথ্রিপালা সিরিসেনা নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, রাজাপক্ষের রাজনীতি আরও ছয় বছর চললে শ্রীলঙ্কা ‘একটি উপনিবেশে পরিণত হবে, আর আমরা হব ক্রীতদাস।’তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন, ‘যে ভূমি একসময় সাদারা সামরিক শক্তিতে দখল করে নিয়েছিল, আজ অন্য বিদেশিরা তা কিছু ব্যক্তিকে ঘুষ দিয়ে দখল করে নিচ্ছে।’গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া রনিল বিক্রমাসিংহে গত মাসে বলেছিলেন, তিনি পরিকল্পনাধীন দেড় বিলিয়ন ডলারের বন্দরনগরের প্রকল্প বাতিল করবেন। ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির অর্থনীতিবিষয়ক মুখপাত্র হার্শা ডি সিলভা বলেন, নতুন সরকার ‘অনিয়মের’ অভিযোগে সব বড় অবকাঠামোবিষয়ক প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করবে। তিনি আরও বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে “চীনের ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ বা কোনো তিক্ত অনুভূতি রয়েছে”।‘চীনকে আমরা ভালো বন্ধুই মনে করি। এই প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগই চীনা, এই ব্যাপারটা দৈবাৎ। ভারত ও চীনের সঙ্গে আমরা ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক তৈরি করব। কিন্তু রাজাপক্ষের সরকার চীনের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে ভারতকে শত্রু বানিয়ে ফেলেছিল।’আসলে রাজাপক্ষের এরূপ চীনঘেঁষা নীতির কিছু কারণও আছে। দেশটির প্রথাগত দাতা, যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তামিলবিরোধী যুদ্ধে ভূমিকার কারণে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করে সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। পশ্চিম মুখ ফিরিয়ে নিলে সে জায়গায় আসে চীন। তার যেমন টাকাও আছে, তেমনি মানবাধিকার নিয়েও তার কোনো মাথাব্যথা নেই।ভারত মহাসাগরে তার আরও বৃহত্তর ভূমিকা পালনের খায়েশ ছিল। শি জিনপিংয়ের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রকল্পে শ্রীলঙ্কা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক খেলোয়াড়। তিনি বাণিজ্যের জন্য একটি সমুদ্রপথ তৈরি করে চীনের সঙ্গে ইউরোপকে যুক্ত করতে চান, এর নাম ‘সিল্ক রোড’। ৪০ বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্প নিয়ে ভারতের এন্তার ভয়। ভারত ভাবছে, এতে তারা ঘেরাও হয়ে পড়বে। ফলে এ এলাকায় তার আধিপত্য হুমকির মুখে পড়বে আর শেষমেশ চীনারা হয়তো সেখানে সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করবে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীলঙ্কার নির্বাচনের ফল নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখিয়েছেন। এমনকি ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই তিনি সিরিসেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে চীনা বিশ্লেষকেরা এটা আশা করেননি।সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ ওয়াং দেহুয়া বলেন, ‘অনেক রাজনীতিকই ভোটের আগে এক কথা বলেন, আর ভোটের পরে করেন আরেক।’ বন্দরনগর প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এটা শ্রীলঙ্কার জন্যও লাভজনক। ফলে তারা কেন এটা বাতিল করবে। এটা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই আমি মনে করি।’ব্রাসেলস ইনস্টিটিউট অব কনটেম্পোরারি চায়না স্টাডিসের গবেষণাপ্রধান জোনাথন হোলস্ল্যাগ বলেছেন, বস্তুত চীন যেসব দেশে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে, সেখানেই এরূপ ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। আর তারা সফলভাবে তা মোকাবিলাও করেছে। তিনি আফ্রিকার পাঁচটি দেশে সংঘটিত ক্যু-বিষয়ক চীনের অবস্থান নিয়েও কাজ করেছেন।সাধারণত চীন এসব রাজনৈতিক পরিবর্তনের ব্যাপারে প্রথম কয়েক মাস মুখ বন্ধ রাখে। এরপর নতুন নেতৃত্বকে যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাব দেয়। এটা সব সময়ই কাজে দেয়। এমনকি বিরোধী নেতারা রূঢ়ভাবে চীনের সমালোচনা করলে তারাও বশে এসেছে। এটা চীনের বৈশিষ্ট্যসূচক ব্যাপারে দাঁড়িয়ে গেছে।জোনাথন হোলস্ল্যাগ আরও বলেন, ‘তারা সবাই একভাবে না একভাবে চীনের দ্বারস্থ হয়। কারণ, অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন ও সরকারি ব্যয় মেটাতে চীনই সব সময় সাহায্য করতে প্রস্তুত। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এটা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে হয়।’তবে এশিয়াজুড়েই চীনের ঋণ নিয়ে অস্বস্তি আরও বাড়বে, জোনাথন হোলস্ল্যাগ বলেন। কারণ, মানুষ ‘প্রকৃত সহায়তা ও ঋণের মধ্যে পার্থক্য করছে’।শ্রীলঙ্কায় নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পর অনেক দেশই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করবে। যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ডেভিড ব্রিউস্টার বলেছেন, রাজাপক্ষে জিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ব্রাত্যই থেকে যেত, অন্তত আরও কয়েক বছরের জন্য। তিনি আরও বলেন, এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিজের বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুত থাকা উচিত।ডেভিড ব্রিউস্টার বলেন, টাকাই কথা বলে। চীনা টাকার ক্ষমতা খাটো করে দেখা হয়েছে; তারা কত দিতে চায় সেটাও। তিনি এসব দেশে কৌশল নিয়ে কাজ করেন—এমন অনেক লোকের সঙ্গেই কথা বলেছেন। তাঁদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই না।ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন; দ্য নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়াএলেন ব্যারি: দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের মস্কো ব্যুরোপ্রধান। | 106,176 |
প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর) | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ মার্চ ২০১৮, ১২:২৭ | ২৭ মার্চ ২০১৮, ১২:৪৯ | গাজীপুর,আইন ও বিচার,ঢাকা বিভাগ | 0 | হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1457906 | গাজীপুরে ভায়রাকে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম শ্রী রাজবংশী (৩৮)। তিনি টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার দাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, মানিক রাজবংশীর স্ত্রী রাধি এবং অজয় চন্দ্র দাসের স্ত্রী হিরণ রানী দাস সম্পর্কে খালাতো বোন। তাঁরা পরিবার নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাতাইশ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৪ সালের ১২ মে সকালে অজয় চন্দ্র দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান তাঁর ভায়রা মানিক রাজবংশী। মানিক সাতাইশ চৌরাস্তা এলাকায় নিয়ে অজয়কে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন হাতুড়িসহ মানিক রাজবংশীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এবং গুরুতর আহত অজয় চন্দ্র দাসকে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন পরে অজয় মারা যান।এ ব্যাপারে নিহত অজয়ের স্ত্রী হিরণ রানী দাস বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় মামলা করেন। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি হারিছ উদ্দিন আহমদ ও আসামিপক্ষে মো. ওয়াহিদুজ্জামান আকন মামলা পরিচালনা করেন। | 359,166 |
কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ মার্চ ২০১৬, ০১:৩০ | ০৫ মার্চ ২০১৬, ০১:৩১ | কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,অপরাধ | 0 | নয় শিবির কর্মী আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/789241 | মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে চারটি ককটেলসহ ছাত্রশিবিরের নয় কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে ওই গ্রামের মকসেদ আলীর বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।পুলিশের দাবি, আটক শিবির কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়, একজন কুষ্টিয়ার মিরপুরে। বাকিরা গোভীপুর গ্রামের। | 207,846 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | economy | অর্থনীতি | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ২২:০৪ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ২২:০৫ | অর্থনীতি,আয়কর | null | পুরোনো ফরমে রিটার্ন দেওয়া যাবে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1563159 | অন্যবারের মতো এবারও পুরোনো ফরমে করদাতারা তাঁদের বার্ষিক আয়করী বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। এর ফলে, পুরোনো ও নতুন দুই ধরনের ফরমে আয়কর বিবরণী জমা দিলে তা গ্রহণ করবেন কর কর্মকর্তারা।সম্প্রতি এনবিআরের এক আদেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে কোম্পানির ক্ষেত্রেও নতুন ও পুরোনো দুই ফরমেই রিটার্ন দেওয়া যাবে।এনবিআরের নতুন আদেশ অনুযায়ী, ব্যক্তি ও কোম্পানি করদাতা ছাড়া অন্য করদাতাদের ক্ষেত্রে যেমন, এনজিও, ফার্ম, ব্যক্তিসংঘ ইত্যাদি ২০১৮-১৯ কর বছরে শুধু নতুন ফরমে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে যেসব করদাতারা ইতিমধ্যে পুরোনো ফরমে রিটার্ন দাখিল করে ফেলেছেন, তাঁদের আর নতুন ফরমে নতুন করে রিটার্ন দিতে হবে না।নতুন ফরম করদাতারা সহজেই তা পূরণ করতে পারেন। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো ফরমে অনেকে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন, তাই এবারও তাঁদের জন্য পুরোনো ফরম ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। ২০১৬ সালে নতুন আয়কর বিবরণী ফরম চালু করা হলেও তখন থেকেই পুরোনো ফরমেও জমা রিটার্ন দেওয়া যেত।এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ব্যক্তিশ্রেণি পর্যায়ে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬১৬ জন কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) রিটার্ন জমা দেন। রিটার্ন জমা দিয়ে তাঁরা আয়কর দেন ৪ হাজার ২৮১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই পাঁচ মাস রিটার্ন দেওয়ার নির্ধারিত সময়। আগের মতো এখন আর সময় বৃদ্ধির করার সুযোগ নেই। | 380,880 |
মাসুদ আলম, সিলেট থেকে | sports | খেলা | ২৭ মার্চ ২০১৪, ০২:০২ | ২৭ মার্চ ২০১৪, ০২:০৪ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,খেলা | 0 | পন্টিংয়ের রেকর্ড ভাঙা ল্যানিং | http://www.prothom-alo.com/sports/article/178294 | বাবা-মা অস্ট্রেলিয়ান। তাঁদের চাকরির সুবাদে মেগ ল্যানিংয়ের জন্ম সিঙ্গাপুরে। সেখানেই বেড়ে ওঠা। মা-বাবার সঙ্গে একসময় চলে আসেন মেলবোর্ন। একটু বড় হতেই ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা শুরু মেলবোর্নের বাড়ির পাশে। ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেক। আর ২২ বছর বয়সে তো তিনি অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটে খ্যাতির চূড়ায়। জিতেছেন বেলিন্ডা ক্লার্ক পুরস্কার। এখন তো অস্ট্রেলিয়া নারী দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বাংলাদেশে, যে সফরটা তাঁর কাছে বড় এক চ্যালেঞ্জ।নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের সুযোগ এবার অস্ট্রেলিয়ার সামনে। নিয়মিত অধিনায়ক জোডি ফিল্ডস চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় নেতৃত্ব বর্তেছে ল্যানিংয়ের কাঁধে। তবে তাঁর বিশ্বকাপ-যাত্রার শুরু নিউজিল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে। পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলে অবশ্য ল্যানিং শিরোপা লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেন অস্ট্রেলিয়াকে।আত্মবিশ্বাসও তাই বেড়েছে অনেক। সেটি প্রকাশ করলেন কাল সকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে। এমনিতেই আইসিসির টুর্নামেন্ট বলে খেলোয়াড়দের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ মিলছে না। নিরাপত্তার নানা স্তর পেরিয়ে অবশেষে অনুশীলন শেষে কয়েক মিনিটের জন্য পাওয়া গেল ল্যানিংকে। টিম বাসে ওঠার তাড়ার মধ্যেই বলে গেলেন তাঁর নিজের ও দলের নানা বিষয় নিয়ে।ল্যানিংয়ের ২২তম জন্মদিন গেল গত পরশু ২৫ মার্চ। জন্মদিনটা মাঠে উপভোগও করেছেন। জয় নিয়ে হোটেল ফিরে আনন্দ করেছেন সবাই মিলে। সেই রেশটা ছিল পরদিন সকালেও, ‘জন্মদিনে পরিবারের সদস্যদের মিস করেছি। তবে এখানে সবাই মিলে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আমাকে। সময়টা তাই আর খারাপ কাটেনি।’সিলেটে এসে সবকিছুই ভালো লাগছে তাঁর। মাঠ, পিচ সবকিছুরই প্রশংসা করলেন দরাজ কণ্ঠে। তবে মনের মধ্যে কেবলই টি-টোয়েন্টির হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বপ্ন, ‘আমরা আগের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন। আশা করছি, বাংলাদেশ থেকে শিরোপাটা নিয়ে যেতে পারব। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে মেয়েরা সবাই উজ্জীবিত। এটা ধরে রাখাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।’এই যাত্রায় ব্যাট হাতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে চান উদ্বোধনী ব্যাটার ল্যানিং। আগের দুই ম্যাচে ২ আর ৬ রান করেছেন। তবে সেরাটা হয়তো তুলে রেখেছেন সামনের ম্যাচগুলোর জন্য। তাঁর ঝুলিতে আছে বেশ কিছু রেকর্ড। তার মধ্যে একটি তো আলোড়ন তোলা। নারী ক্রিকেটার বলে প্রচার পান না সেভাবে, তবে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে পুরুষ-মহিলা দুই বিভাগেই সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিয়ান (১৮ বছর ২৮৮ দিন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৮ বলে অপরাজিত ১০৩) এই ল্যানিংই! রিকি পন্টিং ২১ বছর ২১ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (১৯৯৬ মেলবোর্ন, ১২৩), যেটি ছিল আগের আগের অস্ট্রেলীয় রেকর্ড।রেকর্ড নিয়ে ভাবছেন না ল্যানিং। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টানা পাঁচ ইনিংসে ৩০-এর বেশি রান করেছেন, টি-টোয়েন্টির প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, এসবও ডানহাতি ব্যাটারের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে না। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটার বলছেন, ‘এটা আমার কাছে বড় কোনো বিষয় নয়। আমি শুধুই খেলায় মনোযোগ রাখছি এবং দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই আমার ধ্যানজ্ঞান।’ল্যানিং এই টুর্নামেন্টে কাউকেই একক ফেবারিট দেখেন না। তবে নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথা বললেন আলাদা করে। এই দলগুলোর সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে একটু বেশি বলে তাঁর ধারণা। নিজের দলকেও রাখছেন শিরোপাদৌড়ে।সিঙ্গাপুর প্রসঙ্গ এলে একটু আপ্লুত দেখায় অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ককে, ‘সিঙ্গাপুরে আমার জন্ম। তাই আমি সিঙ্গাপুরের কথা কখনো ভুলি না। তবে একজন গর্বিত অস্ট্রেলিয়ান হয়েই খেলে যেতে চাই ক্রিকেট। অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যই আমার সাফল্য।’এই না হলে অধিনায়ক! | 61,305 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৪৬ | ১৭ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৪৮ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ‘ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার রিলিফ’ প্রচারাভিযান শুরু করেছে কেএফসি ও পিৎজা হাট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/345892 | জনসচেতনতা তৈরি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষুধা দূর করতে ‘ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার রিলিফ’ প্রচারাভিযান শুরু করেছে কেএফসি ও পিৎজা হাট।গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানের পিৎজা হাটে এ প্রচারাভিযানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি ক্রিস্টা রাডার ও ট্রান্সকম ফুডের নির্বাহী পরিচালক আক্কু চৌধুরী।প্রচারাভিযান থেকে সংগৃহীত অর্থ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ বিস্কুট বিতরণের কাজে ব্যয় করা হবে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে সহায়তা দিতে সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম ও তহবিল সংগ্রহের কাজ কেএফসি ও পিৎজা হাটের সব বিক্রয়কেন্দ্রে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রিস্টা রাডার বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে সপ্তাহে ছয় দিন ৭৫ গ্রামের প্যাকেটে বিস্কুট বিতরণ করে থাকে। শিশুদের শিক্ষার প্রসারে অংশীদারিমূলক সহযোগিতার জন্য তিনি ট্রান্সকমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।আক্কু চৌধুরী বলেন, কেএফসি ও পিৎজা হাট মনে করে, সমাজের উন্নয়নে তাদের পক্ষে ভূমিকা রাখা সম্ভব।২০১৩ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ৭৫টি দেশের আট কোটির বেশি মানুষকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, বিশ্বব্যাপী বিপণিবিতান, স্টোর ও অনলাইনে ‘ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার রিলিফ’ প্রচারাভিযান চলছে। এর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের জন্য গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী গায়িকা ক্রিস্টিনা অ্যাগুয়েলেরা একটি সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন।কেএফসি ও পিৎজা হাটসহ ইয়াম ব্র্যান্ডের আওতাধীন সব রেস্তোরাঁ আন্তর্জাতিকভাবে ‘ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার রিলিফ’ প্রচারাভিযানে অংশ নিচ্ছে। hungertohope.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা নিকটস্থ কেএফসি ও পিৎজা হাটের যেকোনো রেস্তোরাঁয় গিয়ে অর্থ দান করা যাবে। | 101,282 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৪৪ | ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৪৮ | সংসদ | null | ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) বিল নিয়ে স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন সংসদে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1371481 | ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) বিল, ২০১৭’ নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বিলে বেসরকারি ব্যাংকে একই পরিবার থেকে পরিচালক পদে দুজনের পরিবর্তে চারজন এবং তাঁদের মেয়াদ টানা নয় বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক আজ বুধবার কমিটির প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে বিলটি উত্থাপন করেছিলেন গত ১২ সেপ্টেম্বর। সেদিন এর বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম নাম উল্লেখ না করে বলেছিলেন, ‘একজন ব্যক্তির স্বার্থে আইন হতে পারে না। একই পরিবারের দুজন থেকে চারজন করে পরিচালক হলে ব্যাংক খাতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। পারিবারিক ব্যাংকিং শুরু হয়ে যাবে দেশে এবং সব লুটপাট হয়ে যাবে।’বিরোধিতা নাকচ করে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদীয় কমিটিকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সংসদীয় কমিটি গতকাল এবং তার আগে ২৯ অক্টোবর বিলের ওপর আলোচনা করে। আগের বৈঠকে এক পরিবারের চারজন পরিচালক এবং তাঁদের টানা নয় বছর মেয়াদের বিরোধিতা করলেও গতকাল কমিটির সবাই ব্যাংকের মালিকদের পক্ষেই অবস্থান নেন। সরকারের সিদ্ধান্তই মেনে নেয় কমিটি।বর্তমানে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুজন একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারেন। তিন বছর করে দুই মেয়াদে ছয় বছর পরিচালক থাকার পর তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁদের।বেসরকারি ব্যাংকের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) দাবি ও তোড়জোড়ের মুখেই সরকার গত বছর ব্যাংক-কোম্পানি আইন সংশোধনে হাত দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মতামত চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক তখন জানিয়ে দিয়েছিল, একই পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক করা হলে একটি ব্যাংক একই পরিবারের মধ্যে কুক্ষিগত হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতামত আমলে না নিয়েই চলতি বছরের ৮ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৭-এর খসড়া অনুমোদন পায়। এরপর ব্যাংক খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও সমালোচনা করে আসছেন। অনেকে মনে করেন, প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সুযোগ দিতেই ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হচ্ছে।বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো পরিবারের কেউ পৃথকভাবে ব্যবসা করলে এবং নিজেই করদাতা হলে তাঁকে পরিবারের ওপর নির্ভরশীল বলা যায় না। বর্তমান বিধানে একক পরিবার থেকে পরিচালক পদে নিয়োগযোগ্য সদস্যসংখ্যা দুজনে সীমিত। একক পরিবার থেকে দুজনের স্থলে চারজনকে সুযোগ দেওয়া হলে এ সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ পাস হওয়ার পর থেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালকদের মেয়াদ-সম্পর্কিত ধারাটি পাঁচবার সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে। | 345,443 |
ইফতেখার মাহমুদ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০২:১৫ | ২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০৯:৩৩ | পরিবেশ | null | ৩০ বছরের মধ্যে বেশি গরম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/844432 | এ মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে দু-একটি নিম্নচাপ, হতে পারে তিন-চারটি কালবৈশাখী। আর দাবদাহ হতে পারে দু-একটি। মাস শেষ হতে বাকি আর এক দিন। এই এক দিনের মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাস সত্যি হতে হলে অনেকটা ক্রিকেট খেলায় শেষ বলে ১০০ রান নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে হবে।আবহাওয়ার পূর্বাভাস তো এবার মিললই না, বরং খরতাপের রুদ্ররূপ আর বৃষ্টির গোস্সা দেখেই পার হয়ে গেল এপ্রিলের প্রায় পুরোটা। গত ৩০ বছরের তাপমাত্রা আর বৃষ্টিপাতের হিসাব করলে এপ্রিলকে রেকর্ড সৃষ্টিকারী মাস বলা যায়। হিসাব অনুযায়ী চলতি মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ তাপপ্রবাহটি বয়ে যাচ্ছে। ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে টানা ২৩ দিন ধরে দাবদাহটি দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে এপ্রিলে সাধারণত যে গড় তাপমাত্রা থাকে, এখন তাপমাত্রা তার চেয়ে সারা দেশে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এই দাবদাহের দাপটে মানুষ তো বটেই, সড়কপথে যানবাহনও যেন ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। ঠা ঠা রোদ আর হাঁসফাঁস গরমের কারণে দুপুরের দিকে রাজধানীর বেশির ভাগ সড়ক বেশ ফাঁকা হয়ে যায়।আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিলে সাধারণত এক থেকে দুটি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়, যা সর্বসাকল্যে ছয় থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এর আগে ১৯৯৫ সালে দেশের ১২টি জেলায় ঘুরেফিরে আট দিন দাবদাহ ছিল। এরপর ২০০৭ সালে সাতটি জেলায়, ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে ছয়টি জেলায় পাঁচ থেকে ছয় দিন দাবদাহ বয়ে গেছে। কিন্তু টানা ২৩ দিন দাবদাহ চলতে দেখা যায়নি। আর বৃষ্টিপাতের হিসাব নিতে গেলে এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের বেশির ভাগ মানুষের কপালে বঞ্চনার তথ্যই মিলবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, এপ্রিলে সারা দেশ মিলিয়ে ১৬৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার ও ঢাকায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এ বছরের এপ্রিলে ঢাকায় বৃষ্টির পরিমাণ হিসাব করলে ৩ থেকে ৫ মিলিমিটারের বেশি হবে না। তাও রাজধানীর উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দু-একটি এলাকায় ঝরেছে। এবারের এপ্রিলের হাওয়ার গতি-প্রকৃতির হিসাব নিলে অবশ্য হতাশা আরও বাড়বে। কালবৈশাখীর এই মাসে এখনো ঝোড়ো হাওয়ার দেখাই পায়নি রাজধানী বা দেশবাসী কেউই। মাঝে মাঝে যে দমকা হাওয়া এসেছে, তার সঙ্গে ভেসে এসেছে জলীয় বাষ্প। এতে বাতাসের তাপ পরিবহনক্ষমতা গেছে বেড়ে। ফলে কালবৈশাখীর কারণে গ্রীষ্মের খরতাপে যে কিছুটা বিরতি পড়ে, তাও এবার হয়নি। ফলে সব মিলিয়ে এবারের বৈশাখকে গত ৩০ বছরের মধ্যে বিশেষ ব্যতিক্রম হিসেবেই বলছেন আবহাওয়াবিদেরা।এই মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাস কেন পাওয়া যায়নি—জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তাসলিমা ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, এল নিনো নামে আবহাওয়ার এক বিশেষ অবস্থার কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝ বরাবর তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে আফ্রিকা থেকে শুরু হয়ে পূর্ব এশিয়া হয়ে দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত আবহাওয়াগত খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরেও পড়েছে। যে কারণে এবারের এপ্রিলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস মিলছে না। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এক খণ্ড মেঘ বাংলাদেশের ওপরে ভেসে এসেছে। এর প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে ২৮ মিলিমিটার, রংপুরে ৫, সিলেটে ৪, শ্রীমঙ্গলে ১ মিলিমিটার এবং মাদারীপুরে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজও রংপুর ও কুমিল্লা অঞ্চল, ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেশের দু-একটি এলাকায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা এখনই কমছে না। কেননা, তাপমাত্রা কমতে হলে টানা এক থেকে দেড় ঘণ্টা বৃষ্টি হতে হবে, যা হওয়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। | 224,646 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৭ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৭ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সবাই মিলছে এক স্রোতে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1041571 | ১৬ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটা। কাজীর দেউড়ি স্টেডিয়ামপাড়ার অন্য চেহারা। চারপাশে সাজসাজ রব। মাইকে বেজে চলেছে যুদ্ধদিনের সেই গান। বিজয় মেলায় ঢুকে পাওয়া গেল উৎসবের পূর্ণ আমেজ। দর্শনার্থীতে ঠাসা মেলা প্রাঙ্গণ। সবার সাজ–পোশাকে লাল-সবুজের ছোঁয়া। মায়ের কোলের ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ—কে নেই এই দলে। বিজয়ের দিনটিতে প্রাণের বিজয় মেলায় একবার ঢুঁ না মারলে কি আর আনন্দ পূর্ণ হয়!২৮ বছর ধরে নগরে বিজয় মেলার আয়োজন করে আসছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ। ১৯৮৯ সালে পুরোনো সার্কিট হাউস মাঠে ছোট্ট পরিসরে সূচনা হয়েছিল মেলাটির। এরপর এটি স্থানান্তরিত হয় আউটার স্টেডিয়ামে। দিনে দিনে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আর বিজয় মেলা যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে এবারও বসেছে মেলা। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া মেলায় স্টল রয়েছে ২৪৪টি। মেলা চলছে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।বিজয় মেলার পাশাপাশি ৯ ডিসেম্বর থেকে পাশের জিমনেশিয়াম মাঠে শুরু হয়েছে বিজয়মঞ্চের অনুষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মুক্তিযোদ্ধারা এসে প্রতিদিন তরুণ প্রজন্মকে শুনিয়ে যাচ্ছেন একাত্তরের রণাঙ্গনের নানা স্মৃতিকথা। স্মৃতিচারণা ছাড়াও প্রতিদিন থাকছে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বিজয়মঞ্চের অনুষ্ঠান।বিজয় মেলা অবশ্য পুরো ডিসেম্বর মাসই চলবে। সব দর্শনার্থীর জন্যই এ মেলা উন্মুক্ত। মেলায় অংশ নেওয়া বিক্রেতারা বলেন, মেলা শেষের দিকে বেশি জমে। বিশেষ করে ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে। মেলার প্রধান ক্রেতা নারীরা।মেলায় ঘুরে অবশ্য পুরুষ দর্শনার্থীর সংখ্যা নেহাত কম দেখা গেল না। গত শুক্রবার মেলার একটি স্টলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে গৃহস্থালির পণ্য কিনছিলেন এনায়েতবাজার থেকে আসা মো. রফিকুল ইসলাম। প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকেই এ মেলায় আসি। আগে বন্ধুদের সঙ্গে আসতাম। এখন পরিবার নিয়ে আসি।’তিন বান্ধবীকে নিয়ে মেলায় ঘুরছিলেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা সাত্তার। বললেন, ‘জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই তো এ মেলা দেখে আসছি। মেলাটি এখন আমাদের ঐতিহ্যের অংশ।’বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মো. ইউনুছ বলেন, স্বৈরাচারের শাসনামলের শেষ দিকে এক কঠিন সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় মেলা ও বিজয় উৎসবের সূচনা করেন। সময়ের পরিক্রমায় মুক্তিযোদ্ধারা বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়ছেন। এই চেতনাকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ভার তরুণ প্রজন্মের। বিজয় মঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটিই করছে।মেলা পরিষদের আরেক মহাসচিব আহমুদুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে এ মেলার আয়োজন করা হয় না। সে কারণে মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে বিজয়ের চেতনা ও আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়াই মেলার উদ্দেশ্য।গত শুক্রবার মেলায় সহকর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা করতে আসেন বায়েজিদের একটি পোশাক কারখানার কর্মী সুমি বেগম। বললেন, টিকিট ছাড়া অন্য মেলাগুলোয় ঢোকা যায় না। জিনিসপত্রের দামও অনেক বেশি থাকে। বিজয় মেলায় তুলনামূলক কম দামে কেনাকাটা করা যায়।মেলায় ঘর সাজানোর টুকিটাকি থেকে শুরু করে গৃহস্থালির পণ্য, পোশাক, বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মেলায় অংশ নিয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প ব্যবসায়ীরাও। কুমিল্লা খাদি ঘর অষ্টমবারের মতো মেলায় অংশ নিয়েছে। স্টলটিতে খাদি ও বাটিকের মেয়েদের সালোয়ার–কামিজ, শাল, পুরুষ ও শিশুদের ফতুয়া, বিছানার চাদর ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে। স্টলের বিক্রেতা মো. ফরহাদ বলেন, ১০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ টাকার মধ্যে মিলছে বাটিকের বিছানার চাদর।বিক্রি বাড়াতে অনেক স্টলে পণ্যের সঙ্গে উপহার দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো স্টলে এক দামেই পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের পণ্য। এ ধরনের একটি স্টলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাজেট বাজার’। স্টলটিতে প্রতিটি পণ্যের দাম ১৩০ টাকা। স্টলের বিক্রেতা ইয়াসিন মোল্লা বললেন, ক্রেতার সাড়া ভালোই পাচ্ছেন।মেলার দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে বিনোদন কর্নার। সেখানেও দর্শকের কমতি নেই। ওখানে আনন্দ নিতে অবশ্য টাকা খরচ করতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। ৪০ টাকায় টিকিট কেটে যে কেউই চেপে বসার সুযোগ পাচ্ছেন নাগরদোলায়। ভূতের জাদু দেখার খরচ ৩০ টাকা।এ ছাড়া গাড়ি ঘোরানোর ‘বিপজ্জনক’ খেলাও দেখা যাবে ৩০ টাকায়। বিজয় মেলায় টানা সাতবারের মতো এ খেলা দেখাচ্ছেন নীলফামারী জেলার মো. নওশার। বললেন, ছুটির দিনে অনেক দর্শক থাকে। তখন খেলা দেখাতে বেশি ভালো লাগে। | 275,284 |
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ মার্চ ২০১৬, ০১:২৩ | ১২ মার্চ ২০১৬, ০১:২৪ | বাঞ্ছারামপুর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | খেলায় চ্যাম্পিয়ন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/796108 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাড়াইল বর্ণিল ক্রিকেট একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এই খেলা হয়। প্রথমে ব্যাট করে নবীনগরের বাড়াইল বর্ণিল ক্রিকেট একাদশ ২০ ওভারে ২২০ রান করে। পরে ব্যাট করতে নেমে তাদের প্রতিপক্ষ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আকানগর একাদশ ১০৬ রানে সব উইকেট হারায়। খেলা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। | 210,071 |
দিনাজপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৬ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৭ | দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,অপরাধ | 0 | মামলা দায়ের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/701242 | দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইসকন সভাপতি ডা. বীরেন্দ্র নাথ রায় (৬৪) আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাঁর ছেলে কমল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে গতকাল বুধবার চিরিরবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ডা. বীরেন্দ্র আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত (ইসকন)-এর দিনাজপুর জেলা কমিটির সভাপতি।চিরিরবন্দর থানার ওসি মো. আনিছুর রহমান বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।গত ৩০ নভেম্বর রাত ১১টায় উপজেলার রানীরবন্দরে ইছামতি কলেজ মোড়সংলগ্ন এলাকায় দুই সন্ত্রাসী বীরেন্দ্রনাথকে পেছন থেকে গুলি করে। তাঁকে প্রথমে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরের দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তাঁর শরীর থেকে একটি বুলেট বের করা হয়। | 180,025 |
পঞ্চগড় প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ আগস্ট ২০১৬, ০২:০৯ | ২৬ আগস্ট ২০১৬, ০২:১০ | পঞ্চগড়,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/958213 | পঞ্চগড় সদর উপজেলার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর অভিভাবক এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন।ওই ছাত্রীর পরিবার ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে গত বুধবার দুপুরে জাদু প্রদর্শনী চলছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই জাদু দেখতে মগ্ন ছিলেন। এর ফাঁকে প্রধান শিক্ষক চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে যান। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। বিদ্যালয় ছুটির পর ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে অভিভাবকদের বিষয়টি বলে। সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার লোকজন প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ওই ছাত্রীর অভিভাবক গতকাল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করে এর বিচার দাবি করেন।এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা মুখে মুখে শুনেছি। কিন্তু অভিভাবকের লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’এ ব্যাপারে জানতে ওই প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। | 253,481 |
আশরাফুল ইসলাম | economy | অর্থনীতি | ২৭ জুন ২০১৫, ০০:১৮ | ২৭ জুন ২০১৫, ১৫:১৬ | বিদেশের খবর,বাণিজ্য | 0 | ১৯ কোটি টাকার মধ্যাহ্নভোজ! | http://www.prothom-alo.com/economy/article/563230 | আপনি কি বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী ও বিনিয়োগগুরু ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে এক বেলা মধ্যাহ্নভোজ করতে চান? তাহলে আপনাকে গুনতে হবে মাত্র ১৯ কোটি টাকা বা ২৩ লাখ ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার। চোখ কপালে উঠিয়ে দেওয়ার মতো এ অর্থ গুনেই ভাগ্যবান আট ব্যক্তি এ বছর ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন।এক বেলার খাবারের জন্য এ টাকা যাঁরা খরচ করবেন, তাঁরা হয়তো এই ভেবে সান্ত্বনা পেতে পারেন, ২০১২ সালে এ মধ্যাহ্নভোজের মূল্য ছিল প্রায় ২৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় এ বছরের মধ্যাহ্নভোজের দামটা একটু কমই বৈকি!প্রতিবছর নিলামের মাধ্যমে ভাগ্যবান কয়েকজনকে বাফেটের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের বিরল এ সুযোগ দেওয়া হয়। নিলাম থেকে যে অর্থ আয় হয়, সেটি বাফেট দান করেন গ্লাইড ফাউন্ডেশন নামের একটি সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিষ্ঠানটি এ অর্থ দারিদ্র্য দূরীকরণ ও গৃহহীন মানুষদের ঘর তৈরিতে ব্যয় করে।২০০০ সাল থেকেই প্রতিবছর এ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে আসছেন ওয়ারেন বাফেট। নিজের ইমেজকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে যে অর্থ আয় হবে, সেটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ফিরিয়ে দিতেই এই অভিনব উদ্যোগ নেন বিশ্বের অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ারেন বাফেট।বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ওয়ারেন বাফেটের একটি পরামর্শ যে কতটা দামি, তার প্রমাণ তাঁর সঙ্গে কোটি কোটি টাকা খরচে মানুষের এই আগ্রহ। শুরুর বছরে এ মধ্যাহ্নভোজের সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ২৫ হাজার ডলার বা ২০ লাখ টাকা। আর ২০১২ সালে এ মধ্যাহ্নভোজের সর্বোচ্চ দর ওঠে ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার।চীনের বেইজিংভিত্তিক অনলাইন গেমিং প্রতিষ্ঠান দ্য লিয়ান জিউস এন্টারটেইনমেন্ট সর্বোচ্চ দামে এ বছরের মধ্যাহ্নভোজের এ নিলাম জিতে নিয়েছে। গত বছর সিঙ্গাপুরের অ্যান্ডি চুয়া ২১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে মধ্যাহ্নভোজের সুযোগটি জিতে নিয়েছিল।কয়েক বছর ধরে ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে এ মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিতে চীনের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহই সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। শুধু খাবার খেতেই নয়, বাফেটের প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ারের বার্ষিক বিনিয়োগকারী সম্মেলনে আছেন চীনের ২০০ বিনিয়োগকারী।মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় এ বছর তৃতীয় অবস্থানে আছেন ওয়ারেন বাফেট। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ২৭০ কোটি ডলার। গত এক বছরে তাঁর সম্পদের পরিমাণই সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার বেড়েছে। তবে ওয়ারেন বাফেট তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। আর বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিল গেটস তাঁর সম্পদের ৯৫ শতাংশ দান করার ঘোষণা দিয়েছেন। | 148,415 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জুন ২০১৫, ০০:৫৫ | ১৬ জুন ২০১৫, ০০:৫৭ | বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | যমুনা টিভির প্রতিবেদক ও উপস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/554331 | মিথ্যা ও মানহানিকর প্রতিবেদন প্রচারের অভিযোগে বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের এক উপস্থাপক এবং প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে চট্টগ্রামের আদালতে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কুদরত-এ-এলাহীর আদালতে মানহানি ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দুটি করা হয়।দুটি মামলাতেই আসামি করা হয়েছে যমুনা টেলিভিশনের ‘ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রি’ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদক সাজ্জাদ পারভেজ এবং অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মীর আহসানকে। সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এবং রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ হাছান মাহমুদের পক্ষে তাঁর একান্ত সহকারী এনায়েতুর রহিম মানহানির মামলা করেন। আর তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।চট্টগ্রাম জেলা সরকারি কৌঁসুলি আবুল হাশেম প্রথম আলোকে জানান, আদালত তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মানহানির মামলাটি গ্রহণ করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।জানতে চাইলে যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রি অনুষ্ঠানের প্রতিবেদক সাজ্জাদ পারভেজ গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, প্রতিবেদনের অনুকূলে যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতিবেদনটি করা হয়নি।মামলার বাদী এনায়েতুর রহিম জানান, ৫ জুন ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রি অনুষ্ঠানে বলা হয় রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক নির্মাণে ৩৫ কোটি টাকা জলবায়ু তহবিল থেকে ব্যয় করা হয়। কাজ না করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয় হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে। বাস্তবে ওই প্রকল্পের অর্থ জলবায়ু তহবিল থেকে নয়, এসেছে রাজস্ব খাত থেকে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে একজন ভারতীয় ঠিকাদার কাজটি করেছেন।বাদীর আইনজীবী ইব্রাহীম হোসেন বাবুল জানান, আসামিরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে যমুনা টেলিভিশনের ‘ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রি অনুষ্ঠানে ‘জলবায়ু তহবিলে নয়ছয়’ শিরোনামে কল্পনাপ্রসূত প্রতিবেদন প্রচার করেন। সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের মানহানি করতেই এই প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে। তাই মানহানির মামলা করা হয়েছে।আইনজীবীরা জানান, যমুনা টেলিভিশনের ওই অনুষ্ঠানে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনকে জড়িয়েও মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। সংস্থাটি জলবায়ু তহবিলের অর্থ নয়ছয় করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।বাদীর আইনজীবী নিখিল কুমার নাথ জানান, জলবায়ু তহবিলের জন্য সুখী বাংলা ফাউন্ডেশন কোনো আবেদনই করেনি। ফলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। | 145,600 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৫, ০২:৩৯ | ২১ আগস্ট ২০১৫, ০২:৪০ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,রাজনীতি | null | গুলি করে মানুষ মারার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/608626 | দল যদি অন্যায় করে, মানুষ মারে, মানুষ পোড়ায়—এর প্রতিবাদ করতেই হবে। অন্ধকারের মধ্যে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে মানুষকে দেখাতে হবে। গুলি করে মানুষ মারার বিরুদ্ধে আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সচেতন নাগরিকদের সঙ্গে আইনজীবীরা দাঁড়ালে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রথিতযশা এই আইনজীবী। ড. কামাল বলেন, বিনা বিচারে কাউকে গুলি করে মারা অন্যায়। অপরাধী হতে পারে, বিনা বিচারে মারা অন্যায়। সরকারি দলের লোকদের বিবেক যদি ধ্বংস হয়ে না যায়, তাঁরা অন্যায়কে অন্যায় বলবেন। যে যাঁর দল করুন, নিজকে অন্ধ, বোবা করবেন না। তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের লোকজন অন্যায়কে অন্যায় বলতে শুনেছি।’বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নিজের নানা স্মৃতির কথা তুলে ধরে কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সত্যিকার অর্থেই জাতির পিতা। ঘোষণা করে, আইন করে তা হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, বিলবোর্ডে অসৎ ব্যবসায়ীরা তাঁদের ছবির পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি দিচ্ছেন। এসব দূর করতে মাঠে নামা উচিত। তিনি বলেন, যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়া বঙ্গবন্ধুর নীতি ছিল না। জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। ন্যায়নীতি ও আইনের পক্ষে তরুণ আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের মুক্তিকে জনগণের বিজয় বলেও উল্লেখ করেন এই আইনজীবী। জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে তিন আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযোগ যে কারও বিরুদ্ধে থাকতে পারে। অভিযোগ থাকলে তদন্ত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব। অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবে, আর না হলে ছাড়া পাবে। | 161,770 |
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি| | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১১ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৩১ | গুরুদাসপুর,নাটোর,বিশাল বাংলা | 0 | সন্ত্রাসী হামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/758125 | রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের নাটোরের গুরুদাসপুর শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা খায়রুল আলম (৩৫) সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চরপিপলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর গ্রামের হাসান আলীকে অভিযুক্ত গুরুদাসপুর থানায় মামলা হয়েছে। ওই ব্যাংক কর্মকর্তা মামলাটি করেন। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক জুয়েল হক বলেন, হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করায় ব্যাংক কর্মকর্তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। | 198,403 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ আগস্ট ২০১৬, ১০:৪৬ | ১০ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৪৫ | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ | 0 | তালায় অতিবর্ষণে ২৫ গ্রাম প্লাবিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/941746 | অতিবর্ষণে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় বসতবাড়ির ভেতর পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও জমি। ভেসে গেছে চিংড়িঘের।গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে টানা বৃষ্টি চলছে জেলায়। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসে অনেক জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছপালা। গতকাল দিবাগত রাত তিনটা থেকে সাতক্ষীরায় বিদ্যুৎ নেই।তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন জানান, তাঁর ইউনিয়নে সদরের মহল্লাপাড়া, বারুইহাটি, খানপুর, জেয়ালানলতা, কেসমতঘোনা, শাহাপুর, মুড়াকুলিয়াসহ ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।জালালপুরের ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক জানান, অতিবর্ষণে তাঁর ইউনিয়নের কানাইদিয়া, কৃষ্ণকাটি, চরকানাইদিয়া, জেঠুয়া, নেহালপুর, জালালপুর, শ্রীমন্তকাটি, দোহারসহ আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার খানেক বিঘার চিংড়িঘের। ধানের খেতও তলিয়ে গেছে। তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া খলিলনগর ইউনিয়নের মহান্দি, গোনালীসহ পাঁচটি গ্রাম তলিয়ে গেছে।তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফরিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অতিবর্ষণে উপজেলা পরিষদসহ ২৫টি গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দী। উপজেলা পরিষদের চৌহদ্দির ভেতর তাঁর বাসায়ও এক ফুট পানি জমেছে। | 248,260 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ মার্চ ২০১৬, ০২:৪১ | ২৩ মার্চ ২০১৬, ০২:৪১ | রাজধানী | 0 | পানি দিবসে বুয়েটে সেমিনার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/807454 | বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) ‘পানি ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ব্যানসিড, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিডব্লিউডিবি), পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম), সিইজিআইএস, বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশিপ এবং বুয়েট।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বিডব্লিউডিবির মহাপরিচালক মো. মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান এবং বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল মতিন এবং বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশিপের খন্দকার আজহারুল হক। বিজ্ঞপ্তি। | 213,376 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ মার্চ ২০১৪, ০০:৫২ | ০৯ মার্চ ২০১৪, ০০:৫৩ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | মিরসরাই এস এম মডেলের ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/164206 | মিরসরাই এস এম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল ৪টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।খুদে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফরাজুর রহমান জানায়, সাতটি পদের জন্য তৃতীয় শ্রেণীর ১০ জন, চতুর্থ শ্রেণীর আটজন ও পঞ্চম শ্রেণীর ছয়জনসহ মোট ২৪ জন শিক্ষার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নেয়। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ২৬২ জন শিক্ষার্থী গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজহারুল হক জানান, খুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মনোভাব তৈরি, গণতন্ত্রের চর্চার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং নেতৃত্ব তৈরি করার লক্ষ্যেই এই ভোট উৎসবের আয়োজন করা হয়। —মিরসরাই প্রতিনিধি | 57,023 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ আগস্ট ২০১৬, ০২:১২ | ০২ আগস্ট ২০১৬, ০২:১৫ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,মহানগর | 0 | সরকারীকরণ করে হলেও সব স্থাপনা রক্ষার দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/933139 | সিলেটের তারাপুর চা-বাগানে অবৈধভাবে স্থাপন করা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ যাবতীয় স্থাপনা উচ্ছেদ নয়, প্রয়োজনে সরকারীকরণ করে রক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে।গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে ‘আমরা সিলেটবাসী’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে এ আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে রাগীব আলীর নাম সরিয়ে জাতীয় কোনো নেতার নামে রেখে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করা যেতে পারে। তাঁরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তারাপুর চা-বাগানে গড়ে ওঠা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দেশ-বিদেশের ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী রয়েছেন। মদনমোহন কলেজের একটি ক্যাম্পাসও রয়েছে সেখানে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব উচ্ছেদ হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।এতে আরও বলা হয়, প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা বসতবাড়ি ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হবে। বাস্তুহারা হয়ে রাস্তায় বসবে কয়েক হাজার মানুষ ও তাঁদের পরিবার। তাই মানবিক কারণে হলেও কলেজ-হাসপাতালসহ সব প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি ও স্থাপনা রক্ষার বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক রাজা মিয়া স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান শাহরিয়ার করিম সেলিম। এ ছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা তারাপুর বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী। গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। রায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয় সিলেট জেলা প্রশাসনকে।১৫ মে চা-বাগানের ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। রায়ের পরবর্তী নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ সব অবৈধ স্থাপনা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সরানোর নির্দেশনা জারি করেন।কিন্তু বেঁধে দেওয়া এই সময়ের মধ্যে সরেনি কোনো স্থাপনা। এ অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে রোববার বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। ওই বৈঠকের বরাত দিয়ে সিলেটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মিসবাহউদ্দিন সিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন ছাড়া প্রশাসনের হাতে আর কোনো করণীয় নেই। তারপরও এ ব্যাপারে প্রধান আইন কর্মকর্তার মতামত নেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। | 245,711 |
প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:৫৭ | ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৫৯ | শিক্ষাঙ্গন,ছাত্রলীগ,বহিষ্কার,টাঙ্গাইল,টাঙ্গাইল সদর,ঢাকা বিভাগ | null | শিক্ষকদের লাঞ্ছনা ও অসদাচরণের কারণে মোট পাঁচ নেতাকে শাস্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1590517 | টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ তিন নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই নেতাকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও একজনকে সতর্ক করা হয়েছে।স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন—বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার, সহসভাপতি মো. ইমরান মিয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাবির ইকবাল। এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সহসভাপতি আদ্রিতা পান্না ও ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ঈশিতা বিশ্বাস তিশাকে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম জানান, শিক্ষকদের লাঞ্ছনা ও অসদাচরণের কারণে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে তদন্ত কমিটির সুপারিশে গত রোববার ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিসে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ঈশিতা বিশ্বাস তিশা পূর্ববর্তী সেমিস্টারে পাস না করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অরডিন্যান্সের বিধি অমান্য করে গত ৭ অক্টোবর তাঁকে পরীক্ষার হলে বসিয়ে দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষকেরা বাধা দিতে গেলে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পরদিন ৫৬ জন শিক্ষক প্রশাসনিক ও একাডেমিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভার মাধ্যমে পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।জানতে চাইলে প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোর্সে ভর্তি বা চাকরির জন্য আবেদনের যোগ্য হবেন না। তাঁরা ক্যাম্পাসেও প্রবেশ করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। | 399,199 |
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৯ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৯ | অপরাধ | 0 | নবাবগঞ্জে ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে খুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/723904 | দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে রবিউল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীকে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাঁ পায়ের গোড়ালির নিচের অংশ কেটে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার সকালে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ রবিউলের লাশ উদ্ধার করেছে।রবিউল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হকের ছেলে।নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন পরিবারের বরাত দিয়ে পজানান, রবিউল ইসলাম ভাদুরিয়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন। গতকাল ছিল তাঁর দোকানে হালখাতার দিন। রবিউল ইসলামের ছেলে মো. আরাফাত (১৬) পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁর মা গত শুক্রবার ঘোড়াঘাটে আত্মীয়র বাড়িতে যান। শনিবার দিবাগত রাতে তাঁর বাবা এবং সে আলাদা দুটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আরাফাত দেখতে পায়, তাঁর বাবার ঘরের দরজা খোলা। ঘরে ঢুকে বাবাকে ডাকতে থাকলে তিনি না ওঠায় শরীর থেকে লেপ সরিয়ে সে তাঁর বাবার বাঁ পা কাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়।ওসি আরও জানান, রবিউল ইসলামের বাঁ পায়ের গোড়ালির নিচ থেকে কাটা রয়েছে। এ ছাড়া ডান পা ও বাঁ হাতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। | 187,238 |
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | education | শিক্ষা | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৫:৪২ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৪২ | উচ্চশিক্ষা | 0 | জগন্নাথে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ৮২ জন | http://www.prothom-alo.com/education/article/307258 | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য প্রতি আসনের বিপরীতে ৮২ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার ৭৬০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৯৫৯ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের উপপরিচালক সৈয়দ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজ্ঞান অনুষদে (এ ইউনিট) ৭৯০টি আসনের বিপরীতে ৬১ হাজার ৪৫৯, কলা অনুষদে (বি ইউনিট) ৭১০টির বিপরীতে ৫০ হাজার ৫৫১, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে (সি ইউনিট) ৬২০টি আসনের বিপরীতে ৪৫ হাজার ৫৩২, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে (ডি ইউনিট) ৫৪০টির বিপরীতে ৬৫ হাজার ৯৬১ ও আইন অনুষদে (ই ইউনিট) ১০০টির বিপরীতে ২ হাজার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। গতকাল রোববার রাত ১২টায় ভর্তির আবেদনের সময় শেষ হয়েছে।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর ‘সি ইউনিট’; ১২ সেপ্টেম্বর ‘এ ইউনিট’; ১৩ সেপ্টেম্বর ‘ই ইউনিট’; ১৯ সেপ্টেম্বর ‘বি ইউনিট’ ও ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ডি ইউনিট’ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা হবে বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত। এ ছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত বিস্তারিত সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে। | 89,628 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:০৭ | ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:০৯ | নির্বাচন | null | ইসিকে তামাকবিরোধী নারী জোটের স্মারকলিপি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1564437 | আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ভোট প্রচারণায় বিড়ি, সিগারেট, পানের সঙ্গে জর্দা, সাদাপাতা ও গুলসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তামাকবিরোধী নারী জোট।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে নারী জোটের প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি দিয়ে এই আহ্বান জানান।জোটের সমন্বয়ক সাইদা আক্তারের নেতৃত্বে সারা দেশের সাতটি বিভাগের ১২ জন নারী প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে এই স্মারকলিপি জমা দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লেখা ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় চায়ের দোকানে এবং নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য অবাধে বিক্রি ও বিতরণ করা হয়।ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের একটি ধারা উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, নির্বাচন প্রচারণায় বা নির্বাচনকালে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারে তামাক কোম্পানিগুলো একধরনের প্রচারণার সুযোগ নেয়, যা আইনের পরিপন্থী। এ ছাড়া তামাকের ব্যবহারে জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রকার তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করতে না দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। এ ধরনের প্রচারণাকে প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করারও দাবি জানানো হয়। | 381,801 |
কামাল আহমেদ, লন্ডন | international | আন্তর্জাতিক | ২০ আগস্ট ২০১৩, ১৮:৫২ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ১৮:৫৩ | -1 | null | ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ গোয়েন্দাদের হানার কথা জানালেন সম্পাদক | http://www.prothom-alo.com/international/article/40722 | ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর কাছে সংরক্ষিত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন গোয়েন্দা তত্পরতার তথ্যভান্ডার ধ্বংস করার জন্য ব্রিটিশ গোয়েন্দারা পত্রিকাটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পত্রিকাটির সম্পাদক।যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন গত মে মাসে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) গোপন গোয়েন্দা কার্যক্রম বিষয়ে বহু তথ্য ‘দ্য গার্ডিয়ান’সহ কয়েকটি পশ্চিমা সংবাদপত্রের কাছে ফাঁস করে দিয়েছিলেন।‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সম্পাদক অ্যালান রাসব্রিজার আজ মঙ্গলবার পত্রিকাটির এক নিবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছেন, অভিযানের সময়ে গোয়েন্দারা পত্রিকাটির দুটি কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ ধ্বংস করে দেন।‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর পক্ষ থেকে এডওয়ার্ড স্নোডেনের সাক্ষাত্কার গ্রহণকারী সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়ার্ল্ডের জীবনসঙ্গীকে রোববার হিথ্রো বিমানবন্দরে সন্ত্রাস দমন আইনে আটক ও হয়রানি করা হয়। এরপর গতকাল সোমবার বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেনে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড় শুরু হলে ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সম্পাদক পত্রিকাটির ওপর ব্রিটিশ সরকারের অভূতপূর্ব চাপ প্রয়োগের এসব তথ্য প্রকাশ করলেন।‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সম্পাদক তাঁর নিবন্ধে কারও নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, প্রায় মাস দুয়েক আগে ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে এক পদস্থ কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করছেন। সে সময়ে তাঁদের মধ্যে দুদফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সব বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে স্নোডেনের সরবরাহ করা তথ্যাদি সরকারের কাছে হস্তান্তর বা ধ্বংস করে ফেলার জন্য আহ্বান জানানো হয়।‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সম্পাদক লিখেছেন, তিনি তখন কর্মকর্তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে ওই সব তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিসরে একাধিক সংবাদপত্রের মধ্যে যে সহযোগিতামূলক ব্যবস্থায় কাজ করা হচ্ছে, তাতে ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর কাছে থাকা তথ্যভান্ডার ধ্বংস করা হলেও তথ্য প্রকাশ বন্ধ করা যাবে না।সম্পাদক অ্যালান রাসব্রিজার ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের জানান, গোয়েন্দা কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদনগুলো লন্ডন থেকে প্রকাশ না করে বিশ্বের অন্য অনেক জায়গা থেকেও তা প্রকাশ করা যায়। তাই তা বন্ধ করা পুরোপুরি অসম্ভব। এ কথা জানানোর পরও মাস খানেক আগে গোয়েন্দারা পত্রিকাটির হাতে থাকা তথ্যভান্ডার ধ্বংসের পদক্ষেপ নেন। তাঁরা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার কম্পিউটারের দুটি হার্ডড্রাইভ পত্রিকা ভবনের ভূগর্ভস্থ কক্ষে নিয়ে এমনভাবে ধ্বংস করেন যাতে তা অন্য কেউ আর কোনোভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে না পারে।অ্যালান রাসব্রিজার লিখেছেন, ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা অব্যাহত থাকবে। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা স্নোডেনের ফাঁস করা নথিপত্রগুলো নিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে যত্নশীল হয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ অব্যাহত রাখব। আমরা কেবল লন্ডনে এ কাজগুলো করব না।’ এদিকে, পত্রিকাটির সাংবাদিকের জীবনসঙ্গীকে আটক ও হয়রানি করায় সন্ত্রাস দমন আইন প্রয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধী দল লেবার পার্টি আইনটি পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান কিথ ভাজ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের বিষয়টি পুলিশকে ব্যাখ্যা করতে হবে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ সাংবাদিকের জীবনসঙ্গীকে হয়রানির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত ছিল কি না, সে প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, তাঁদের কোনো ভূমিকা ছিল না। তবে, ওই ব্যক্তিকে আটক করার আগে বিষয়টি তাঁদের জানানো হয়েছিল।যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কীভাবে বিশ্বজুড়ে টেলিফোন ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ-ব্যবস্থার ওপর নজরদারি করে থাকে, তা ফাঁস করে দিয়েছিলেন স্নোডেন। এরপর জীবননাশের আশঙ্কায় তিনি রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। | 10,459 |
রাশেদা কে চৌধূরী | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৫৪ | ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:১৭ | আলোর দুয়ার | 0 | সব বাধা পেরিয়ে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1359611 | নভেম্বর মাসের একটি মনোরম, রোদেলা সকাল। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত উপজেলা সন্দ্বীপের একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেখানে বিরতির সময় যখন প্রধান শিক্ষকের ঘরে বসে চা খাচ্ছিলাম, তখন সপ্তম শ্রেণির এক মেয়ে আমার কাছে এসে বসল। আমি তার গ্লাসে পানি ঢেলে দিতে চাইলে সে বলল, ‘আন্টি, আমাকে আধা গ্লাস পানি দিন। ’ স্বাভাবিক কৌতূহল থেকেই তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন? ’ তখন সে বলল, ‘১৬ কোটি মানুষের এই দেশে আমরা যদি প্রত্যেকে আধা গ্লাস করে পানি অপচয় করি, তাহলে ৮ কোটি গ্লাস পানি অপচয় হবে। আমাদের এই অপচয় বন্ধ করা দরকার। আমি নিজে এটা করলে নিশ্চয়ই অন্যদেরও বলতে পারব।’অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম, আমাদের পরিবেশসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জেনে ওই মেয়েটি শুধু বসে থাকেনি, অন্তরে ধারণ করেছে, চর্চা করছে, এমনকি অন্যকেও জানানোর চেষ্টা করছে। সেদিন আমার মনে হয়েছে এই মেয়েটি বাংলাদেশের একটি অনগ্রসর অঞ্চলের শিক্ষার্থী হয়েও মেধা ও মননে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের উপায় চর্চা করার সক্ষমতা রাখে। আমাদের জন্য এমন সুসংবাদ এ দেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথকে সুগম করবে বলে বিশ্বাস করি।নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শিক্ষার চাহিদা তৈরি হয়ে গেছে। আমাদের এই বিশাল অর্জনটি প্রায়ই দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়। প্রতিবেশী বিশাল দেশ ভারতেও অনেক পশ্চাৎপদ রাজ্য আছে, যেখানে একজন দরিদ্র কৃষক হয়তো সোজা বলে দেবেন, ‘লেখাপড়া শিখিয়ে কী লাভ?’ আমাদের দেশে কিন্তু এই কথাটি এখন আর শোনা যায় না। দারিদ্র্যের সঙ্গে, পরিবেশ বিপর্যয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংগ্রামে রত এ দেশের অগণিত সহিষ্ণু মানুষ আজ শিক্ষার সঙ্গে মানব সক্ষমতা বিনির্মাণের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ককে অনুধাবন করে, অন্তরে ধারণ করে। কিন্তু সুযোগটা হয়তো অনেক সময় তারা সেভাবে পায় না। তবে মেয়েশিশুকে লেখাপড়া করানোর ইচ্ছার ব্যাপারে তাদের মধ্যে তেমন সংশয় নেই।সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণায়ও উঠে এসেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ছেলেসন্তানের প্রতি মা-বাবার যে ঝোঁক থাকে, তা বাংলাদেশে অনেক কমে এসেছে। মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য মা-বাবার আকাঙ্ক্ষাই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ।প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে আমরা ছেলে ও মেয়ের সমতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এ এক বড় অর্জন। পৃথিবীর বহু উন্নয়নশীল অথবা অনুন্নত দেশ এটি পারেনি। আমরা ২০০৫ সালে এই সাফল্য অর্জন করেছি এবং এটি ধরেও রাখতে পেরেছি।আমরা দেখতে পাচ্ছি, শিক্ষার সর্বস্তরে নারী শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ক্রমাগত বাড়ছে। এটি একদিকে আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন, আবার অন্যদিকে একটি বড় চ্যালেঞ্জও বটে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ওপরের দিকে ক্রমেই নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। এই বিষয়টি এখন আর অগ্রাহ্য করার কোনো অবকাশ নেই। তবে আশার কথা এই যে সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।তবে আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা এখনো অপ্রতুল। মেডিকেল কলেজগুলোতে মেয়েদের জন্য পর্যাপ্ত হল না থাকায় তাদের আবাসনের সমস্যা থেকেই যায়। তাদের যাতায়াত, নিরাপত্তা এই সমস্যাগুলো সরকারের পক্ষে একা নিরসন করা সম্ভব নয়। এর জন্য আমাদের সামাজিক উদ্যোগেরও প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাইরেও যেন মেয়েরা নিরাপদে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেওয়া দরকার।বাংলাদেশে এখন বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে মনে করা হচ্ছে, মেয়েরা যদি উপার্জনক্ষম হয় তাহলে পরিবারের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। এ ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার ভূমিকাই প্রধান। গবেষণার তথ্যমতে, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই নারী। লেখাপড়া শিখেছেন বলেই তাঁরা ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণের সাহস করতে পারছেন। মূলধনের জন্য ব্যাংকের সঙ্গে এমনকি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও দেন-দরবার করতে পারছেন।আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যে মা অন্তত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, সেই মায়ের সন্তান কখনো নিরক্ষর হয় না, অপুষ্টিতে ভোগে না। গত দুই দশকে শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ইতিবাচক ফলাফল আমরা এখন পাচ্ছি। ১০ বছর আগে যে মেয়েরা মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশ নিয়েছিল তাদের অনেকেই এখন মা হয়েছেন। তাঁদের সন্তানদের তাঁরা নির্দ্বিধায় বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন বলেই আজকে বাংলাদেশের এই অর্জন দৃশ্যমান।প্রধানত তিনটি কারণে আমরা নারী শিক্ষায় আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। আমাদের শিক্ষাবান্ধব রাষ্ট্রীয় নীতিমালা নারী শিক্ষার প্রসারে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে। আমরা দেখেছি, সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নারী শিক্ষার্থীর জন্য ইতিবাচক নীতিমালার পরিবর্তন হয়নি। দ্বিতীয় কারণটি হলো, নারী শিক্ষার প্রতি আপামর জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক মনোভাব। আর তৃতীয় কারণটি হলো আমাদের বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) সচেতনতামূলক ব্যাপক কর্মকাণ্ড। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এনজিওগুলো উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারও এগিয়ে এসেছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধিত সরকারি বিদ্যালয় থেকে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেয়েশিশুর উন্নয়নে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।আমাদের এ অগ্রযাত্রায় ভারতীয় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, এ দেশের সংগ্রামী মানুষের অমিত সদিচ্ছাকে অভিবাদন জানিয়েছেন। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের এই সাহসী অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।মেয়েশিশুর শিক্ষার জন্য সরকারের উপবৃত্তি কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু এই উপবৃত্তির পরিমাণ ২০০৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত খুবই সামান্য পরিমাণে বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে এটি চাহিদা অনুযায়ী বাড়াতে হবে।এ দেশের প্রত্যন্ত, দারিদ্র্যপীড়িত ও খাদ্যাভাবগ্রস্ত এলাকাগুলোর বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘দুপুরের গরম খাবার’ কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। এতে করে এ অঞ্চলগুলোতে সামগ্রিক শিক্ষা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।বেসরকারি উদ্যোগেও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথম আলো প্রতিবছর ‘অদম্য মেধাবী’ শিরোনামে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবীদের সংগ্রামী কাহিনি তুলে ধরে। আমাদের উচিত হবে, যেই মেয়েটি বা যেই ছেলেটির কথা প্রথম আলো আমাদের সামনে তুলে ধরল, শিক্ষার জন্য সামনের পথটুকু চলতে যেন তাকে আর সংগ্রাম করতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া। কিছু কিছু করপোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই দায়িত্ব পালনে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এগুলো এখনো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।নারীর প্রতি সহিংসতা আমাদের দেশের নারীদের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় একটি বাধা। ‘ইভ টিজিং’ নামক একটি ব্যাধি আমাদের সমাজে মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে এটিকে আমরা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। সমাজে মেয়েদের প্রতি সহিংসতা রোধ করতে হলে সামাজিক সচেতনতা ও সংঘবদ্ধ প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে অনেক সাহসী পদক্ষেপের ঘটনাগুলোকে গণমাধ্যম সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পারে।আমাদের দেশের নারীদের প্রতি সহিংসতার আরেকটি মাধ্যম এখন দেখা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে নারীর মর্যাদাকে হেয় করা হচ্ছে। এটি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান ও তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের আরও সচেতন, কঠোর ও উদ্যোগী হতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদেরও ভূমিকা রয়েছে।বাল্যবিবাহকে এক অর্থে নারীর প্রতি সহিংসতা বলা চলে। একটি মেয়েকে যখন অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তখন একটি সম্ভাবনাময় ফুলের কুঁড়িকেই ছিঁড়ে ফেলা হয়। দেশের অনেক এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধের অনেক সাহসী গল্প রয়েছে, এই গল্পগুলোকে আপামর জনগোষ্ঠীর সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।আমাদের দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে যাঁরা সফল নারী রয়েছেন, তাঁরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে গিয়ে উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করতে এগিয়ে আসতে পারেন। এতে নারী শিক্ষায় মানুষ আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে। সাধারণ মানুষকে এটি বোঝানো প্রয়োজন যে নারী শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্জনের প্রয়োজনে নয়, শুধু নারী উন্নয়নের জন্যই জরুরি নয়, সমাজের ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারী শিক্ষা প্রয়োজন।বাংলাদেশ অদম্য সাহসের সঙ্গে একটি যুদ্ধ জয় করে স্বাধীন হয়েছে, এই যুদ্ধে নারী-পুরুষনির্বিশেষে লড়াই করেছে। স্বাধীন মাতৃভূমি আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছোট-বড় অনেক সাফল্য অর্জন করেছি। এর প্রতিটি অর্জনই একেকটি সাহসিকতার গল্প। এই সাহসী পদক্ষেপ অব্যাহত রেখে আমরা যে জায়গায় যেতে চাই সেটি আত্মতুষ্টির নয়, আত্মবিশ্বাসের জায়গা। সেই আত্মবিশ্বাসের অবস্থান থেকে আরও অনেক সাহসী উদ্যোগ বেরিয়ে আসবে, অনেক কূপমণ্ডূকতা দূর হয়ে যাবে, আরও অনেক সাফল্য অর্জিত হবে—এটাই আগামীর জন্য প্রত্যাশা।রাশেদা কে চৌধূরী: নির্বাহী পরিচালক, গণসাক্ষরতা অভিযান | 343,693 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৩ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৩ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | বন্ধ গণমাধ্যম খোলার দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/102352 | বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়া ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ।গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়। একই দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে না দেওয়া এবং গণতন্ত্র মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক আন্দোলন চলবে। মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে সাংবাদিকদের চলমান আন্দোলন আরও তীব্র হবে। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ডিইউজের একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। | 37,024 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৩ আগস্ট ২০১৫, ০৩:২৫ | ১৩ আগস্ট ২০১৫, ০৩:২৭ | যুক্তরাষ্ট্র | 0 | ই–মেইলের সার্ভার এফবিআইকে দিচ্ছেন হিলারি | http://www.prothom-alo.com/international/article/601492 | হিলারি ক্লিনটন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তাঁর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ই-মেইলের অনুলিপি আছে এমন একটি ড্রাইভ ও সার্ভার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) কাছে হস্তান্তর করবেন। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে। খবর এএফপি ও বিবিসির। মন্ত্রী থাকার সময় সরকারি যোগাযোগের কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার করায় সমালোচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারি। সাবেক এই ফার্স্ট লেডি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। হিলারির নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র নিক মেরিল সিবিসি নিউজকে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যবহৃত ই-মেইল সার্ভার বিচার বিভাগের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হিলারি। এ ছাড়া ওই সব ই-মেইলের অনুলিপি রয়েছে, এমন একটি ড্রাইভ ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সরবরাহ করা হয়েছে।হিলারির দাবি, ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে তিনি কোনো আইন অমান্য করেননি। রাষ্ট্রীয় কোনো গোপন তথ্য তিনি ব্যক্তিগত ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাননি। হিলারি ক্লিনটন মন্ত্রী থাকার সময় ওই কম নিরাপদ সার্ভার ব্যবহার করে কোনো সরকারি গোপন তথ্য আদান-প্রদান করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে এফবিআই। | 159,642 |
নরসিংদী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪৮ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪৯ | পৌরসভা নির্বাচন,রাজনীতি,নরসিংদী,ঢাকা বিভাগ | null | চার মেয়র প্রার্থী ২৯ মামলার আসামি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/707242 | নরসিংদী পৌর নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মামলার আসামি হিসেবে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম কাইয়ুম। তিনি ১৫টি মামলার আসামি। এর মধ্যে চারটি বিচারাধীন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান। তাঁর বিরুদ্ধে আটটি মামলা আছে।রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় প্রার্থীরা মামলার এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। নরসিংদী পৌরসভায় মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিএনপির মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফারজানা আক্তার বাদে সবাই বিভিন্ন মামলার আসামি। বাকি চার মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে মোট ২৯টি মামলা রয়েছে।হলফনামা বিশ্লেষণ করে ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম কাইয়ুম অস্ত্র আইনে, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন, মারামারি, ট্রেনে ভাঙচুরসহ মোট ১৫টি মামলার আসামি। এর মধ্যে ১১টি মামলায় তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। বাকি চারটি বিচারাধীন। পেশায় তিনি একজন ঠিকাদার। করেছেন স্নাতক পাস।নিজের বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা থাকা প্রসঙ্গে এস এম কাইয়ুম বলেন, ‘আমার প্রতিবাদী কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় বারবার হয়রানি করা হয়েছে।’এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান হত্যা, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ মোট আটটি মামলার আসামি। এর মধ্যে ছয়টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। হত্যা মামলা ও চাঁদাবাজির মামলা দুটি বিচারাধীন। পেশায় তিনিও ঠিকাদার। ২০১৩ সালে পলাশের ডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জিপিএ-৪.২০ পেয়ে এসএসসি প্রোগ্রামে উত্তীর্ণ হয়েছেন। কামরুজ্জামান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সব কটি মামলা রাজনৈতিক। বিরোধী দলের আমলে এসব মামলা হয়রানির জন্য করা হয়েছিল।’জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী মো. ছাদেকুর রহমান। তিনি চুরি ও প্রতারণার তিনটি মামলার আসামি। এর মধ্যে প্রতারণার একটি মামলা চলছে। বাকি দুটি মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তিনি ফল ও ঔষধি গাছ রোপণ এবং ক্রয়-বিক্রয় পেশায় জড়িত। এসএসসি পাস করেছেন তিনি।মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান। তিনি ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মারামারি ও সরকারি কাজে বাধা আইনে সিদ্দিকুর রহমান তিনটি মামলার আসামি। সব কটি মামলায় জামিনে রয়েছেন। তিনি নরসিংদী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফারজানা আক্তার। তিনি মেয়র পদে একমাত্র নারী প্রার্থী। পেশায় গৃহিণী। তিনি বিএ পাস করেছেন।বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের তিনবারের নির্বাচিত পরিচালক। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তবে প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পড়াশোনা করেছেন এসএসসি পর্যন্ত।সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি, ভোটাররা সবকিছু বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ নির্বাচন শুরুর আগেই ক্ষমতাসীনেরা বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন এই মেয়র প্রার্থী। | 181,695 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:০৭ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৩:২৬ | তারকা | 0 | বন্ধুত্বের হাত ধরে দুনিয়া কাঁপানো প্রযুক্তি | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1279766 | বন্ধু মানে নাকি সব। প্রযুক্তি দুনিয়া কাঁপানো অনেক উদ্যোগই গড়ে উঠেছে বন্ধুত্বের হাত ধরে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় প্রভাবশালী প্রযুক্তি উদ্যোগ এবং সেসবের পেছনে থাকা বন্ধুদের কথা থাকছে এখানে স্টিভ জবস ও স্টিভ ওজনিয়াকপ্রতিষ্ঠান: অ্যাপল ইনকরপোরেটেডগ্রীষ্মকালীন চাকরি করতে গিয়ে ১৯৭০ সালে বন্ধুত্ব হয় দুই স্টিভের, স্টিভ জবস ও স্টিভ ওজনিয়াক। ওজনিয়াক তখন ব্যস্ত কম্পিউটার তৈরিতে। আর জবস তখন ওজনিয়াককে জানান, তৈরি কম্পিউটার বিক্রির সুযোগ রয়েছে। তাঁরা পেরেছিলেনও বটে। এরপর ভাবা শুরু করেন, কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায় এ নিয়ে। দুই বন্ধুর সেই ভাবনাতেই প্রযুক্তি বিশ্বে বিপ্লব ঘটে। ছয় বছর পর ১৯৭৬ সালের ১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাপল ইনকরপোরেটেড। মাঝখানে বছর কয়েক স্টিভ জবস অ্যাপল থেকে দূরে ছিলেন। পরে আবার ফিরে এসে আমৃত্যু ছিলেন অ্যাপলেই। বিল গেটস ও পল অ্যালেনপ্রতিষ্ঠান: মাইক্রোসফটওয়াশিংটনের লেকসাইড প্রাইভেট স্কুলে পরিচয় বিল গেটস ও পল অ্যালেনের। সেই পরিচয় ভালো লাগা থেকে বন্ধুত্বে পরিণত হতে সময় লাগেনি। দুজনেরই পছন্দ আবার কম্পিউটার। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার পর গেটস ও অ্যালেন একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করেন। তা থেকেই ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল দুই বাল্যবন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো শহরে প্রতিষ্ঠা করেন মাইক্রোসফট। সেই বন্ধুত্বে গড়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই বিল গেটস আজ বিশ্বের শীর্ষ ধনী। ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিনপ্রতিষ্ঠান: গুগলশত্রু থেকে বন্ধু হওয়ার একটি উদাহরণ ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় সারাক্ষণই দ্বন্দ্ব লেগে থাকত এ দুজনের। তবে একটি গবেষণা প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বন্ধুত্ব হয় ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিনের। দুজনের কাজ ও ভালো লাগার বিষয় এক হওয়ায় তাঁদের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়। তবে তাঁরা সে সময় কোনো দিনও ভাবেননি যে ইন্টারনেট প্রযুক্তির দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে চলেছেন। ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এ দুই বন্ধু ইন্টারনেটে থাকা তথ্য খুঁজে বের করার গবেষণা করতে গিয়ে চালু করেন একটি সার্চ ইঞ্জিন, নাম গুগল। আর সেই গুগলই পেইজ ও ব্রিনের বন্ধুত্বকে বিখ্যাত করে তোলে। গর্ডন মুর ও বব নোয়েসপ্রতিষ্ঠান: ইন্টেলস্বাধীনচেতা দুই বন্ধু গর্ডন মুর ও বব নোয়েসসহ আটজন নিজেদের প্রতিষ্ঠান চালুর লক্ষ্যে ১৯৫৭ সালে তৎকালীন বিখ্যাত ‘সেমিকন্ডাক্টর ল্যাবরেটরি’ ছেড়ে চলে আসেন। তাঁদের পদত্যাগ করার ঘটনা ইতিহাসে ‘আট বিশ্বাসঘাতক’ (Traitorous eight) নামে পরিচিত। এরপর ১৯৬৮ সালের ১৮ জুলাই মুর ও নোয়েস প্রতিষ্ঠা করেন ইন্টেল করপোরেশন। দুই বন্ধুর গড়া সেই ইন্টেলের প্রসেসর বর্তমানে প্রায় সব কম্পিউটারের প্রাণ। ইভান উইলিয়ামস ও বিজ স্টোনপ্রতিষ্ঠান: টুইটারগুগলের ওডিও ডট কমে (www.odeo.com) কাজ করার সময় ইভান উইলিয়ামস বিজ স্টোনকে নিয়োগ দেন। সেখানেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের। ইভান ২০০৪ সালে গুগল থেকে পদত্যাগ করলে স্টোনও তাঁর সঙ্গে চলে আসেন। পরে ওডিওর সাবেক প্রকৌশলী জ্যাক ডরসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি সরল ধারণার কথা জানালে ইভান স্টোনসহ বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে টুইটার প্রতিষ্ঠা করেন। দুই বন্ধুসহ অন্যদের অক্লান্ত শ্রমে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ সানফ্রান্সিসকোতে যাত্রা শুরু করে খুদে বার্তা লেখার ওয়েবসাইট টুইটার। উইলিয়াম রেডিংটন হিউলেট ও ডেভিড প্যাকার্ডপ্রতিষ্ঠান: এইচপিস্ট্যানফোর্ডের প্রকৌশল প্রোগ্রামিংয়ের ছাত্র ছিলেন উইলিয়াম রেডিংটন হিউলেট ও ডেভিড প্যাকার্ড। স্নাতক করার পর দুই সপ্তাহের জন্য ভ্রমণে যান ওই কোর্সের অনেকেই। আর সেখানেই বন্ধুত্ব হয় হিউলেট ও প্যাকার্ডের। এরপর খুব কম সময়ের মধ্যেই স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রেড টেরমেনের অনুপ্রেরণায় কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন তাঁরা। নিজেদের নামেই প্রতিষ্ঠানের নাম রাখেন হিউলেট-প্যাকার্ড, সংক্ষেপে এইচপি। ১৯৩৯ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টোর গ্যারেজে যাত্রা শুরু হয় আজকের জনপ্রিয় কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচপির। জাভেদ করিম চ্যাড হার্লে ও স্টিভেন চ্যানপ্রতিষ্ঠান: ইউটিউব২০০২ সালের অক্টোবরে মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইবে পেপ্যাল কিনে নিলে অনেকেরই মতো বেকার হয়ে পড়েন বাংলাদেশি-জার্মান বংশোদ্ভূত জাভেদ করিম। তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী হারান চ্যাড হার্লে এবং স্টিভেন চ্যানও চাকরি হারান। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরেই তিনজন মিলে নতুন কিছু করার চিন্তা করেন। আর সেই নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতেই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয় করিম, হার্লে ও চ্যানের। এরপর এই তিন বন্ধু মিলে ২০০৫-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি ভিডিওভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট চালু করেন। চাকরিচ্যুত সেই তিন বন্ধুর বন্ধুত্বের নিদর্শনই আজকের ইউটিউব। জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলোপ্রতিষ্ঠান: ইয়াহুল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন কিংবা হিউলেট ও প্যাকার্ডের মতো জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলো—এই দুজনের পরিচয়ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে এই দুজনকে কম্পিউটারের চিপসেট নিয়ে একটি প্রকল্পে কাজ করতে দিলে দুজনেই অনাগ্রহ থেকে ক্লাস ফাঁকি দিতে শুরু করেন। ফাঁকি দিয়ে তাঁরা ওয়েব সার্ফ শুরু করেন। সেই সময় তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় তাঁরা প্রিয় ওয়েবসাইটগুলোকে সাজিয়ে রাখতে চেষ্টা করতেন। আর সেখান থেকেই নিছক মজার ছলেই তৈরি করে ফেলেন ইয়াহু। তবে প্রথমে ব্যবসায়িক দিক না ভাবলেও অচিরেই তাঁরা তা উপলব্ধি করেন। ১৯৯৫ সালের ২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ইয়াহুর। চলতি বছরে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ভেরাইজন কমিউনিকেশনস ইয়াহুকে অধিগ্রহণ করে নেয়। পিয়ের ওমিদিয়ার ও জেফরি স্কলপ্রতিষ্ঠান: ই-বেঅবসর সময় কাটাতে একটি ওয়েবসাইটের কোডিং করেছিলেন পিয়ের ওমিদিয়ার। সেই ওয়েবসাইটের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করতে জেফরি স্কলকে নিয়োগ দেন ওমিদিয়ার। সেখান থেকেই শুরু হয় দুজনের বন্ধুত্ব। দুজনে মিলেই ১৯৯৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ওয়েবসাইট ইবে। তবে জেফরি ইবের সহপ্রতিষ্ঠাতা না হলেও ওমিদিয়ারের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন ইবে গড়ে তুলতে।গ্রন্থনা: শাওন খান, সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার | 331,254 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৪ | ০৯ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৫ | -1 | 0 | একাত্তরের মার্চে ন্যূনতম ১৩ বছর থাকলে মুক্তিযোদ্ধা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1017205 | মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য মুক্তিযোদ্ধার বয়স ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এই বয়সের কথা বলা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। তবে প্রজ্ঞাপনে তারিখ রয়েছে ৬ নভেম্বর। এতে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশের আলোকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে।মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ও সংজ্ঞা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। কখনো ১৫ বছর, কখনো ১৩, কখনো ১২ বছর ৪ মাস করা নিয়ে আলোচনা হয়। অবশেষে এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁরাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। বিভিন্ন শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের বিভিন্ন ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন তাঁরা। যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং যেসব বাংলাদেশি বিশিষ্ট নাগরিক বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তাঁরা। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীনে কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত এমএনএ ও এমপিএ (গণপরিষদ সদস্য)। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা। মুক্তিযুদ্ধকালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী চিকিৎসক দলের চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অভ্যন্তরীণ বাহিনীর অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। নতুন করে তাঁদের গেজেটভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। | 263,706 |
মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, আনোয়ারা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫২ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৩ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | তবু বদলায়নি বদলপুরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/137302 | বদলপুরা গ্রামের পাশেই নাবিক-প্রশিক্ষণকেন্দ্র মেরিন একাডেমি, সার কারখানা সিইউএফএল ও কাফকো এবং কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত এলাকা। শিল্প এলাকায় অবস্থান হলেও গ্রামটিতে লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। গত কয়েক দশকে আশপাশের অনেক এলাকার চেহারা পাল্টে গেলেও বদলপুরা বদলায়নি একটুও।আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে কর্ণফুলী নদীর কোল ঘেঁষে বদলপুরার অবস্থান। গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা আশপাশের কারখানার শ্রমিক। কেউ কেউ শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। গ্রামের পূর্ব দিকে দেয়াং পাহাড়। বর্ষাকালে নদীর ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে গ্রামের সীমানায়। পাশাপাশি দেয়াং পাহাড় থেকেও নামে ঢল। ফলে পানি ঢুকে পড়ে ঘরবাড়িতে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছিল গ্রামটি। গ্রামের প্রায় ২০-২৫ জন বাসিন্দা নিহতও হয়েছিল। তবে এর পরও গ্রামটিতে কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি হয়নি। সবচেয়ে কাছের আশ্রয়কেন্দ্রটির অবস্থান প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। গ্রামের বাসিন্দারা এক সময় যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতেন মেরিন একাডেমি ঘেঁষে চলে যাওয়া বক্তেয়ার সড়ক। গত ১০ বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সেই সড়কটিও। ফলে ঝুঁকি নিয়ে নদীর পাড় দিয়েই যাতায়ত করতে হয় গ্রামবাসীকে। গ্রামের লোকজন বঞ্চিত স্বাস্থ্যসেবা থেকেও। আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এই গ্রাম থেকে প্রায় সাত থেকে আট কিলোমিটার দূরে।সম্প্রতি এই এলাকায় গেলে কথা হয় গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বখতেয়ার সড়কটি এক সময় এই এলাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে পরে চতুর্দিকে যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন সড়ক তৈরি হওয়ায় এটির গুরুত্ব কমে আসে। ২০০৫ সালে এই সড়কের জোড়পোল এলাকা পর্যন্ত পিচ ঢালাইয়ের কাজ হয়। কিন্তু সড়কটির বদলপুরা গ্রামের দেড় কিলোমিটার অংশে পিচ ঢালাই হয়নি। ফলে সড়কের ওই অংশ মারাত্মকভাবে ভেঙে যায়। এখন এটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা আলম শরীফ (৩৫) বলেন, ‘আমরা জন্মের পর থেকেই অবহেলিত। ভোট এলেই কেবল আমাদের কদর বাড়ে, আর ভোট গেলে কেউ খবর নেয় না।’জানতে চাইলে বৈরাগ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রফিক বলেন, বদলপুরাবাসীর কষ্টের শেষ নেই। প্রধান সমস্যা হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ্য ব্যবস্থা। এটির উন্নতি হলে অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হবে।জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলার প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বখতেয়ার সড়কের ওই অংশের কথা আমার জানা নেই, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবো।’ | 48,363 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০ আগস্ট ২০১৬, ০০:১১ | ১০ আগস্ট ২০১৬, ০২:২৫ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি | 0 | ফেসবুকের শর্টকাট কি | http://www.prothom-alo.com/technology/article/940975 | ফেসবুকের নিউজফিডে মাউসের ব্যবহার যেন অপরিহার্য। তবে কি-বোর্ডের কিছু শর্টকাট কি ব্যবহার করে আরও দ্রুত যে কাজ সারা যায়,তা কি জানা আছে?* J ও K ওপরে ও নিচে নিউজফিডের পোস্ট নির্বাচন* Enter নির্বাচিত পোস্ট পুরোটা দেখাবে* P নতুন কিছু পোস্ট করার জন্য* L কোনো পোস্ট লাইক বা আনলাইক করবে* C নির্বাচিত পোস্টে কমেন্ট করতে* S কোনো কিছু শেয়ার করা যাবে* O নির্বাচিত ছবি বড় করে দেখাবে* / কোনো কিছু খুঁজতে সার্চবার সক্রিয় করবে* Q চ্যাটে কাউকে খুঁজে পেতেএই তালিকা ভুলে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। নিউজফিডে থাকা অবস্থায় ‘?’ বোতাম চাপলেই পুরো তালিকাটি দেখাবেসূত্র: ফেসবুক | 248,486 |
দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪২ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৩ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | দীঘিনালায় এতিমখানা ও শিশু সদনে শীতবস্ত্র বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/427030 | খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও শিশুসদনে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ১২ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল জাহিদ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বিভিন্ন মাদ্রাসায় গিয়ে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।মোশারফ হোসেন জানান, উপজেলার কঁাঠালতলী আবাসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ জন শিক্ষার্থীকে কম্বল ও ২৮ জন শিক্ষার্থীকে সোয়েটার, বোয়ালখালী আল মাদ্রাসাতুল ইসলামীয়ার ৭০ জন শিক্ষার্থীকে কম্বল ও ১৫ জন শিক্ষার্থীকে সোয়েটার এবং ছোট মেরুং মাদ্রাসার ১৫ জন শিক্ষার্থীকে কম্বল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭২টি কম্বল বিতরণ করা হয়। | 107,733 |
সিরাজগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জুলাই ২০১৭, ০১:৫৫ | ২৫ জুলাই ২০১৭, ০১:৫৭ | সিরাজগঞ্জ,ঠাকুরগাঁও,অপরাধ | 0 | জমি নিয়ে বিরোধে দুই কৃষক খুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1264546 | সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার খোরশেদ আলম ওরফে খুশি (৫৫) নামের এক কৃষক খুন হয়েছেন। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বিশ্রামপুর নয়াবন্দর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমানকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।তাড়াশ থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার খোরশেদ আলম ও আবুল হোসেনের পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।গতকাল সকালে বিরোধপূর্ণ ওই জমির মাপজোক নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কৃষক খোরশেদের সঙ্গে আবুল হোসেনের ছেলে আবদুল আজিজের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আবদুল আজিজ, তাঁর ভাই এরশাদ আলী ও আমিনুল ইসলাম মিলে শাবল, লাঠি দিয়ে খোরশেদকে বেদম পেটাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই খোরশেদ মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।এ বিষয়ে আবুল হোসেন ও তাঁর পক্ষের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলে আশিক ভলেন, নিহত ব্যক্তির মাথা ও শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫৯ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর রহমান বলেন, এই ঘটনার পর থেকে আবুল হোসেন ও তাঁর ছেলেরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভানোর বিশ্রামপুর নয়াবন্দর গ্রামের খলিলুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশী এনামুল হক ও খাদেমুল ইসলামের দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ নিয়ে মীমাংসা বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে সমঝোতা হয়নি। এরপর সোমবার উভয় পক্ষকে আবার উপজেলা পরিষদে ডাকা হয়।নিহত খলিলের স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন, গত রোববার রাতে খলিলকে মুঠোফোনে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেননি। সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন খলিলের গলা কাটা লাশ বাঁশ ঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখে তাদের খবর দেন।বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে আকবর আলী, আবু হোসেন, আবদুস সোবহান নামের তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো মামলা হয়নি। | 328,575 |
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর | opinion | মতামত | ১২ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৩ | ১২ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:২৭ | মতামত,মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর,আজ-কাল-পরশু,রাজনীতি,লেখকের কলাম | null | এটি কি অন্তর্বর্তী সরকার নয়? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/120943 | ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সরকার, নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ যত কথাই বলুক না কেন, সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে ভোটের দিনের যে বিবরণ ও ছবি প্রচারিত (প্রকাশিত) হয়েছে, তাতে এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলার সুযোগ নেই। ভোটের আগেই ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচন আগেই কলঙ্কিত হয়েছে। তবে ৫ জানুয়ারি ৪২টি কেন্দ্রে যে একজন ভোটারও ভোট দিতে আসেননি, তাতেএই নির্বাচনের স্বরূপ আরও উন্মোচিত হয়েছে। আগে থেকেই বলা হয়েছিল, এই নির্বাচন হবে প্রহসনের নির্বাচন। ৫ জানুয়ারি সরকার গায়ের জোরে ‘পোকা খাওয়া’ নির্বাচন করে তা ভালোভাবে প্রমাণ করেছে। ভারত ছাড়া আর কোনো বিদেশি রাষ্ট্র, সরকার, এমনকি জাতিসংঘ পর্যন্ত এই নির্বাচন মেনে নিতে পারেনি।নির্বাচন কমিশন যতই ভোট প্রদানের হার ৪০ শতাংশ দাবি করুক না কেন, তা জনগণ বিশ্বাস করছে বলে মনে হয় না। যাঁরা ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র দেখেছেন বা টিভিতে লাইভ দেখেছেন, তাঁদের অনেকের ধারণা, ১০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি।ভোটারবিহীন নির্বাচনে ‘বিজয়ী’ দলের সরকারকে বৈধ বলার সুযোগ নেই। বিএনপি, জামায়াত বা অন্যান্য দল এই নির্বাচন ও সরকারকে কীভাবে দেখবে, সেটা তাদের সমস্যা। আমরা নির্দল নাগরিক সমাজ এই ‘সরকারকে’ কীভাবে দেখব, তা নিয়ে একটা আলোচনা হওয়া দরকার। কারণ, এই নির্বাচন গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকারকে পদদলিত করেছে। সরকার অতীব শক্তির অধিকারী বলে তাদের সব অন্যায় কাজ মেনে নেওয়া যায় না। আজ্ঞাবহ ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনও জনপ্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই তাদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।এ রকম পরিস্থিতিতে দেশের নির্দল নাগরিক সমাজ এই নির্বাচন ও সরকারকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে, তা নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা হওয়া খুব জরুরি। এটা এ জন্য প্রয়োজন যে, এই দেশ শুধু দুই প্রধান দলের দেশ নয়। নির্বাচন মানে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ। দলীয় স্বার্থে একদল ১৫৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী করাবে, আরেক দল ভোটের দিন ব্যাপক সহিংসতা করবে, সেই সহিংসতা সরকার দমন করতে পারবে না, এসব মেনে নেওয়া যায় না। দুই বড় দল মিলে নির্বাচনকে প্রহসন ও ভীতিকর করে তুলেছে।এ রকম পরিস্থিতিতে একমাত্র বড় ভরসা হয়ে দেখা দিয়েছে জাতিসংঘ এবং বিদেশি রাষ্ট্রগুলো। তাদেরকে সরকার জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইত্যাদি বলে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছে, এসব বুলি হলো: ছলে-বলে-কৌশলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা। সরকারের কাছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ হলো রাজনৈতিক কৌশল। আওয়ামী লীগের বাইরেও বিএনপি, জেএসডি, বাসদ, সিপিবি, গণফোরাম ও আরও বহু দল রয়েছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে।বাংলাদেশের বহু সচেতন মানুষ তা জানেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটের আয়োজন করার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধ নেই। সুষ্ঠুভাবে ভোটের আয়োজন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করা যাবে না, এমনও নয়।কিন্তু আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ধুয়া তুলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে রাজি হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হবে, তা কে বলেছে? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪-দলীয় জোটও হয়তো ক্ষমতায় আসতে পারত। পারত না?বিএনপি ও অন্যরা যে দুই বছর যাবত বলেছে: ‘দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন হলে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না’—তা ৫ জানুয়ারি কি আবার প্রমাণিত হয়নি? আমাদের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, তা আমূল পরিবর্তন না হলে, আরও পাঁচটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা প্রয়োজন হতে পারে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এই দাবি আরও ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের টিভি ফুটেজ এবং ৬ তারিখের পাঠকপ্রিয় বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন ও ছবি একটা ডকুমেন্ট হিসেবে এখনই সংকলন করা উচিত। তা অনাগত দিনে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বারবার দেখাতে হবে। এই নির্বাচন হলো এক বিষণ্ন দলিল।আমাদের সৌভাগ্য, বন্ধুরাষ্ট্রের সরকারগুলো এই বাস্তবতা দ্রুত উপলব্ধি করতে পেরেছে। ভারত পারেনি, তার কারণ ভিন্ন। জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইইউ, জাপান, চীন, সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, কানাডা, বিশ্বব্যাংক—এসব দেশের (ও সংস্থার) সঙ্গে ব্যবসা, জনশক্তি, গার্মেন্টস, শান্তিরক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশের অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে।এখন শেখ হাসিনার সরকারকে ঠিক করতে হবে যে, তাদের সহায়তার প্রয়োজন আছে কি না? জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইইউ, জাপানসহ অন্য বহু দেশ ইতিমধ্যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রশ্নে তাদের বার্তা জানিয়ে দিয়েছে।সরকার কী করবে, তা তারা ভালো জানে। আশা করি, ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে তারা যে অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে, সে রকম কাজ আর করবে না। এখন তাদের অনেক ভেবেচিন্তে প্রতিটি চাল দিতে হবে। সরকার যেন মনে রাখে, বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়।নতুন ‘নির্বাচিত’ সরকার সম্পর্কে নির্দল নাগরিক সমাজকে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে, তাদের ভূমিকা কী হবে। আমার মত হলো: এই সরকারকে পুরোপুরি স্বীকার করলে ভোটের প্রহসন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না দেওয়াটা প্রকারান্তরে মেনে নেওয়া হবে। দুই বড় দল একবার ভোটারবিহীন নির্বাচনের মজা পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে আর ভোটারদের মান্য করবে না। ছলে-বলে-কৌশলে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বা বাড়ির সামনে বালুর ট্রাক দিয়ে অবরোধ করে ভোটারবিহীন নির্বাচনপর্ব সেরে ফেলতে পারে। এটা কিছুতেই ‘নির্বাচনের’ মডেল হতে পারবে না।এই নির্বাচন ও ‘নির্বাচিত সরকার’ একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে ভবিষ্যতে এটা দুই বড় দলের কাছে (যার যার সুবিধামতো) একটা দৃষ্টান্ত হয়ে যাবে। এটা ভাবা যায়? কী ভয়ংকর মডেল হতে যাচ্ছে? কাজেই, এই নির্বাচন ও সরকারকে কিছুতেই গ্রহণযোগ্য বলা যাবে না।নাগরিক সমাজ না মানলে সরকারের কী এসে যায়? ঠিক, কিছুই এসে যায় না। এখন হয়তো কিছুই এসে যাবে না। ভবিষ্যতে যাবে। তার জন্য নাগরিক সমাজকে কিছু কাজ করতে হবে। তার আগে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে, এই নির্বাচন ও সরকারের মূল্যায়ন কী হবে?আমরা মনে করি, এই প্রশ্নবিদ্ধ সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ হবে, অনতিবিলম্বে সব নিবন্ধিত দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকারকাঠামো নিয়ে একটা সমঝোতায় আসা, যাতে দ্রুততম সময়ে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা যায়। আলোচনার জন্য কোনো পক্ষের পূর্ব শর্ত আরোপ করা ঠিক নয়। তবে এবার আলোচনার আগে দুই পক্ষকে ছাড় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শুধু দুই দল নয়, নিবন্ধিত সব দলের সঙ্গে সরকারকে আলোচনা করতে হবে। সবার মতামতই মূল্যবান।প্রধানমন্ত্রী সহিংসতা বন্ধের জন্য বিএনপিকে যে শর্ত দিয়েছেন, তা-ও ঠিক বলে মনে করি না। সহিংসতা যে দলই করুক না কেন, তা কঠোর হাতে দমন করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা চাই, সরকার তার বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে সব রকমের সহিংসতা দমন করবে।তবে এই অভিযানে যেন নিরীহ মানুষ শাস্তি না পায়, তা দেখা দরকার। সহিংসতা দমনে কোনো আপস হতে পারে না। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারেও সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এটা সবারই প্রত্যাশা।প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ‘সরকারকে’ আমরা পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘অন্তর্বর্তী সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। সরকারের গদি তো আর শূন্য থাকতে পারে না।মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: উন্নয়ন ও মিডিয়াকর্মী। | 43,152 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:৩৮ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:৪০ | অপরাধ | 0 | সহিংসতা বন্ধে সব পক্ষের সহযোগিতা করা উচিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/446332 | বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা অবসানের কোনো লক্ষণ দেখছে না আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সহিংস এসব অপরাধ বন্ধে সব পক্ষের সহযোগিতা করা এবং অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করে সংগঠনটি। তবে এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবার অধিকার রক্ষার বিষয়টি সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।গতকাল শনিবার এইচআরডব্লিউর এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ, গ্রেপ্তার ও গুম পরিহার করতে হবে। সব রাজনৈতিক নেতাকে সমর্থকদের প্রতি সুস্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে বেআইনি কাজ ও সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এক মাসের বেশি সময় ধরে চলমান এই সহিংসতায় ৬০ জনের মতো মানুষ নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছে। সারা দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে।এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘চলমান সিরিজ সহিংসতা বন্ধে সব পক্ষের সহযোগিতা করা উচিত। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলের কেউ কেউ এসব সহিংসতা করেছে। কিন্তু সেটা সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড, আহত ও ভুলভাবে গ্রেপ্তারের মতো কর্মকাণ্ডগুলোকে ন্যায্যতা দেয় না।বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কিছু দেশ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। ভারতের মতামতকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতা বন্ধে ভারতের নতুন করে আহ্বান জানানো উচিত।এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক অ্যাডামস বলেন, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিকে বিশ্বসম্প্রদায় আর উপেক্ষা করতে পারে না। রাজনৈতিক নেতাদের এটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে হবে যে রক্তপাত বন্ধ না হলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। | 113,601 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৪:৩৩ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ২৩:৩০ | রাজনীতি | null | জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য চান ফখরুল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/714703 | জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই আহ্বান জানান। রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ধরনের হামলাকে হালকাভাবে দেখলে হবে না। এমন অবস্থা থেকেই ইরাক, সিরিয়া, লেবাননে আজকের বিধ্বস্ত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।হামলার ঘটনায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, এবার নতুন ধরনের নির্বাচন। নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। ধানের শীষ সারা দেশে জনপ্রিয়। একে পরাজিত করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। সরকার এমনটা করবে জেনেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, নির্বাচনে না গেলে সরকার বলবে বিএনপি জঙ্গি, সন্ত্রাসী দল। বিদেশিরাও হয়তো তা বিশ্বাস করবে। | 184,034 |
মো. জসিম উদ্দীন বিশ্বাস | education | শিক্ষা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০২ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০৩:৫৪ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি ২য় পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/308317 | Speech Changeপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ৪ নম্বর প্রশ্ন, অর্থাত্ speech change নিয়ে আলোচনা করব।7.Direct Speech: The boy said to the teacher, “Sir, I shall be much obliged if you kindly lend me the book you praised highly in the class room yesterday.” The teacher said, “I am very glad to know that you are eager to read this book. You are welcome to any of my books that you like.”Indirect Speech: The boy said to the teacher respectfully that he would be much obliged if he (T) kindly lent him (B) the book that he (T) had praised highly in the class room the previous day. The teacher said to the boy that he was very glad to know that he was eager to read that book. The teacher added that he (B) was welcome to any of his books that he liked.(শিক্ষার্থীরা, এখানে Direct Speech-এ sir ব্যবহূত হওয়ায় Indirect Speech-এ respectfully ব্যবহূত হয়েছে।)8.Direct Speech: “Are you hungry, friends?” said the shrewd king. “I’ll be your leader and take you to the granaries where the selfish rich store the golden grains.”Indirect Speech: Addressing them as friends, the shrewd king asked if they were hungry. He added that he would be their leader and take them to the granaries where the selfish rich stored the golden grains.(শিক্ষার্থীরা, এখানে Direct Speech-এ friends শব্দটি দ্বারা সম্বোধন করা হয়েছে। তাই Indirect Speech-এর প্রথমেই Addressing them as friends ব্যবহূত হয়েছে।)9.Direct Speech: “My sons, listen to me. A great treasure lies hidden in the land. I am going to leave you.” “How’ll we find it?” said the sons. “You must dig the land for it,” said the old man.Indirect Speech: The old man told his sons to listen to him. He added that a great treasure lay hidden in the land. He further added that he was going to leave that to them. The sons asked the old man how they would find that. The old man told his sons that they had to dig the land for that.(শিক্ষার্থীরা, এখানে Direct Speech-এ must ব্যবহূত হওয়ায় Indirect Speech-এ must-এর পরিবর্তে had to ব্যবহূত হয়েছে।)বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালপ্রভাষকঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা | 90,207 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ এপ্রিল ২০১৫, ০১:২৬ | ১১ এপ্রিল ২০১৫, ০১:২৯ | রাজধানী (জাতীয়) | null | গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান চলছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/500395 | জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। গতকাল শুক্রবার টানা পঞ্চম দিনের মতো এই অবস্থান চলে।সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবস্থান করছেন মঞ্চের কর্মী-সংগঠকেরা।গতকাল বিকেলে শাহবাগে একটি গণসমাবেশ হয়। এ সময় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ফাঁসির রায় কার্যকরকে বিলম্বিত করার জন্য জামায়াত-শিবির নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।ইমরান বলেন, সরকারও জামায়াতের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে। রায় কার্যকর বিলম্ব হওয়ার কারণেই আন্তর্জাতিক লবিস্টরা সক্রিয় হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয় তখন জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন চুপ থাকে। কিন্তু যখন বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার সময় আসে তখন তাদের মানবাধিকার জাগ্রত হয়।সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক সংগীতা ইমাম ও সহসাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার, চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহানারা নূরী, মঞ্চের সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্ত প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় মঞ্চের কর্মী-সংগঠকেরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঘুরে আবার শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। | 130,499 |
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৫৪ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৫৪ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | সরিষাবাড়ীতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/751284 | জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।বহিষ্কৃত নেতার নাম খোরশেদ আলম (৩৮)। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।পুলিশ জানায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেনকে গত সোমবার দুপুরে প্রকাশ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বরে লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়। খোরশেদ আলম ও সরিষাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি (কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি) রনির নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে এ ঘটনা ঘটায়। পরে তারা মোতাহার হোসেনের মোটরসাইকেলটি ও পকেটে রাখা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় মোতাহার হোসেন বাদী হয়ে সোমবার রাতে খোরশেদ আলমকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেন। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল উদ্দিন বলেন, খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে মারধর, চাঁদা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আরামনগর বাজারের রাজীবকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুখ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরসহ গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে খোরশেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। | 196,110 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ১০:০০ | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ১০:০০ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | ডাবল সেঞ্চুরি করেও পরের ম্যাচেই বাদ! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/720513 | পাঁচ বছর পর টেস্ট দলে জায়গা পেয়েই ২৪৫ রানের এক ইনিংস খেলেছিলেন শোয়েব মালিক। ‘রাজকীয় প্রত্যাবর্তন’ যাকে বলে। সেই স্মৃতি তাজা থাকতে থাকতে অবসরের ঘোষণাও দিয়ে দিলেন মালিক। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য স্থান ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও অবচেতন মনে কিছুটা হলেও সুখস্মৃতি নিয়ে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছে নিশ্চয় ছিল তাঁর। একেবারে মাথা উঁচু করে বিদায়। কিন্তু রাজসিক বিদায়ে মালিক বেশ পিছিয়ে আছেন। বিদায়ী ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডও যে আছে টেস্ট ক্রিকেটে, তাও এক দুবার নয় পাঁচবার!১৯৩৪ সালে ওভাল টেস্টে বিল পন্সফোর্ড ডন ব্র্যাডম্যানকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৫১ রান তুলেছিলেন। এই পাহাড়সম জুটি গড়ার পথেই ক্যারিয়ার সেরা ২৬৬ রান নিয়েছিলেন পন্সফোর্ড। ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি ছিল এটি পন্সফোর্ডের। ওই টেস্ট শেষে দেশে ফিরেই চমকে দিলেন সবাইকে। ‘বিনা মেঘে বজ্রপাতে’র মতো অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে বিদায় নেওয়ার লোভ বোধ হয় সামলাতে পারেননি লম্বা ইনিংস খেলার জন্য বিখ্যাত পন্সফোর্ড।সিমুর নার্সের ঘটনাটা আরও মজার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান তো একেবারে বলে কয়ে অবসর নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে নিজের শেষ ইনিংসে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নার্স। এটিও তাঁর ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ২৫৮ রান। এমন এক ইনিংস যিনি খেলেতে পারেন তাঁর অবসর নেওয়ার কী দরকার! অধিনায়ক গ্যারি সোবার্স অনেক চেষ্টা করেছেন নার্সের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের। কিন্তু রাজি হননি নার্স, মাত্র ২৯ টেস্ট খেলে ক্যারিয়ার শেষ করেন তিনি।রাজসিক বিদায়ের বাকি তিন গল্প কিন্তু হতাশামাখা। যার প্রথমটি অ্যান্ডি স্যান্ডহামের। টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান স্যান্ডহাম। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে প্রথম ইনিংসে ৩২৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান করেছিলেন তিনি। ইতিহাস গড়া এমন এক টেস্ট খেলার পরও ইংল্যান্ড দলে আর কখনো খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। কারণটা বেশ অদ্ভুত, ইতিহাস গড়া সেই টেস্টটি খেলেছিল ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় দল। মূল দলটি তখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছিল। স্যান্ডহামের এমন ইনিংসও মূল দলে ফেরার জন্য যথেষ্ট মনে হয়নি ইংলিশ নির্বাচকদের।পরের দুটি ঘটনা এই শতাব্দীর এবং দুটি ঘটনার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ২০০২ সালে কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে অরবিন্দ ডি সিলভা মাত্র ২৩৪ বলেই ২০৬ রান করেছিলেন। সিরিজের পরের টেস্টে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়, এর পর শ্রীলঙ্কা দলের হয়ে আর টেস্ট খেলা হয়নি তাঁর। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটা নিজের শেষ ইনিংসে খেলেই বিদায় নিয়েছেন ডি সিলভা।পরের ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য বেশ লজ্জার এক ঘটনা। ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন জেসন গিলেস্পি। সেই যে ব্যাট করতে নামলেন, তাঁকে আর আউট করতে পারলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। ২০১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। কিন্তু তাঁর মূল দায়িত্ব বোলিংয়ে তেমন কিছু করতে না পারায় অস্ট্রেলিয়ান দল থেকে ছিটকে পড়েন গিলেস্পি। ‘ব্যাগি গ্রিন’ আর কখনো মাথায় চাপানো হয়নি তাঁর। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা একমাত্র সেঞ্চুরিতেই পরিণত হয় তাঁর।ডাবল সেঞ্চুরি করেও বাদ—গিলেস্পির মূল পরিচয় না জেনে শুধু ইনিংসটার কথা মাথায় রাখলে, ভবিষ্যতে কেউ হয়তো বিভ্রান্তই হবে! | 186,155 |
-1 | opinion | মতামত | ২২ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৭ | ২২ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৮ | মতামত | null | সর্বদলীয় নির্বাচনই জরুরি | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/79393 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবম জাতীয় সংসদের সমাপনী ভাষণে নির্বাচনী সরকার চালাতে রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেয়েছেন বলে দেশবাসীর সামনে যে তথ্য হাজির করলেন, তা তাদের মোটেই আশ্বস্ত করবে না। নির্বাচনী সরকার বা অন্তর্বর্তী সরকারের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন করা। কিন্তু সেই নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে হচ্ছে কি না, কিংবা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বলা হচ্ছে কি না, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সেই প্রশ্নের উত্তর নেই।ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির একটি পদক্ষেপ বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দলকে বাইরে রেখে সেটি কি আদৌ সম্ভব? সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি না এলে সর্বদলীয় সরকার না বলে একে বহুদলীয় সরকার বলা হবে। সমস্যা সমাধানের লাগসই উত্তরই বটে!প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, কিন্তু নির্বাচনে বিরোধী দল না গেলে কীভাবে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, সে সম্পর্কে কিছুই বলেননি। নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীনেরা এখন যেসব যুক্তিতর্ক পেশ করছেন, বিরোধী দলও ক্ষমতায় থাকতে সেসবই তুলে ধরত। তাদের সেসব যুক্তি যদি ভুল হয়ে থাকে, ক্ষমতাসীনদেরটিও সঠিক হওয়ার কারণ নেই। মনে রাখতে হবে, বিরোধী দল না এলে নির্বাচনই কেবল প্রহসনে পরিণত হবে না, দেশও গভীর সংকটে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী যে বারবার অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করার কথা বলছেন, তার উপায় সব দলের অংশগ্রহণে বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচন।প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠন করেছেন। কিন্তু সব দলকে নিয়ে যদি একটি নির্বাচন করা না যায়, তাহলে সব আয়োজন-উদ্যোগই ব্যর্থ হয়ে যাবে। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যদি সংবিধানবিরোধী হয়, খণ্ডিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারও সাংবিধানিক বৈধতা পেতে পারে না। কুশীলবদের ভূমিকা বদল হলেই গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলানো যায় না।অতএব, দেয়ালের লিখন পড়ুন। আলোচনার মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন নিয়ে নিকট-অতীতে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। নির্বাচন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে প্রচ্ছন্ন হুমকি আছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন তো ঠেকিয়ে রাখা বা জোর করার বিষয় নয়। সামরিক শাসকেরা যে ভাষায় কথা বলতেন, গণতান্ত্রিক দলের নেতা-নেত্রীরাও কেন সেই ভাষায় কথা বলবেন?বিরোধী দলের মূল দাবি, সব প্রতিযোগীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা। ক্ষমতাসীনেরা সেটি করতে ভয় পাচ্ছেন কেন? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনপ্রিয়তা নেই বলে বিরোধী দল নির্বাচনে আসতে চাইছে না। বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা নেই—এটি প্রমাণ করার জন্যও তো তাদের নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় আনতে হবে। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি সর্বদলীয় নির্বাচন। | 30,006 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ আগস্ট ২০১৫, ০১:২৯ | ২৭ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩৬ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,দুর্ঘটনা | 0 | ট্রাকের ধাক্কায় নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/613771 | ট্রাকের ধাক্কায় মো. কামাল হোসেন (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. হামিদ জানান, বিদ্যুৎ ভবনের সামনের রাস্তায় দ্রুতগতির একটি ট্রাক কামাল হোসেনের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন। ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন জানান, ট্রাকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবার থানায় অভিযোগ জানালেও মামলা করেনি। | 163,564 |
সাঈদা ইসলাম, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জুন ২০১৬, ০০:২৭ | ১০ জুন ২০১৬, ০০:২৮ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,আইন ও বিচার | 0 | আস্থা বাড়ছে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/883171 | যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে চার মাসের শিশুসন্তানকে নিয়ে ২০১৩ সালে বাবার বাড়িতে ফিরে যান চট্টগ্রামের পটিয়ার রাজিয়া সুলতানা। ওই বছরই তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। কিন্তু মামলাজটে বিচার পেতে দেরি হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন।গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অভিযোগটি নিষ্পত্তির জন্য রাজিয়া সুলতানা চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে যান। এক মাসের মধ্যে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় দুই পক্ষ মীমাংসা চুক্তি করে। তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে এবং স্বামী দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা দিতে সম্মত হন। রাজিয়াও টাকা পাওয়ার পর মামলা তুলে নেবেন বলে চুক্তিতে সম্মত হন।রাজিয়ার বাবা আবদুল খালেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পেরে জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে যাই। এক মাসের মধ্যেই আমার মেয়ে বিচার পেয়েছে। না হলে কত দিনে মামলাটির নিষ্পত্তি হতো, কে জানে! আমার মেয়েকে আবার পড়াশোনা করাচ্ছি।’চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ ফারহানা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় (এডিআর—অলটারনেটিভ ডিসপিউট রেজ্যুলেশন) খুব অল্প সময়েই বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। মীমাংসাযোগ্য বিরোধগুলো আমরা এই পদ্ধতিতে সমাধান করতে চাই। অভিযোগকারীদের আমরা এ পথে এগোনোর পরামর্শ দিই। এতে তাঁরা যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি আদালতের ওপরও মামলার চাপ কমছে।’২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা চালু করা হয়। প্রথম বছরে মাত্র ১০টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে ১০৪টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৭৭টি বিরোধ এই ব্যবস্থায় মীমাংসা করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ৬২টি বিরোধের নিষ্পত্তি চলমান রয়েছে। এ পদ্ধতির সুফলভোগীদের অধিকাংশই নারী। চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নিচতলায় চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয় অবস্থিত। দরিদ্র ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া হয় এখানে।পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, মোহরানা-খোরপোশ আদায়, বিবাহবিচ্ছেদ, দ্বিতীয় বিয়ে, প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধসহ ছোটখাটো অপরাধগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় মীমাংসা করা হয়। তবে হত্যা-অপহরণ, হত্যাচেষ্টা, ধর্ষণের মতো গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ এ ব্যবস্থায় নিষ্পত্তি করা হয় না।আদালত সূত্র জানায়, মামলা না করেও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা স্বল্পতম সময়ে ন্যায়বিচার পেতে পারেন। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার একজন সিনিয়র সহকারী জজ। সাধারণত কোনো ভুক্তভোগী ব্যক্তি জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে প্রতিকার পেতে গেলে লিগ্যাল এইড অফিসার তাঁর আবেদনটি আমলে নেন। এরপর অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে সেটি আপস-মীমাংসাযোগ্য হলে তিনি ভুক্তভোগীকে মীমাংসার পরামর্শ দেন। আবেদনকারী রাজি হলে তারপর জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয় থেকে অপর পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত দিনে দুই পক্ষ হাজির হলে লিগ্যাল এইড অফিসার তাদের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করেন। আপস-মীমাংসার মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান হলে মীমাংসার চুক্তি হয়। এই চুক্তি দুই পক্ষই মানতে আইনগতভাবে বাধ্য। আর যদি সমস্যাটি আপসের মাধ্যমে সমাধান করা না যায়, তখন লিগ্যাল এইড কার্যালয় থেকে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়।এডিআর-পদ্ধতির মতো সালিস বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে পারিবারিক বিরোধ মেটাতে সহায়তা দেয় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৪৭টি পারিবারিক বিরোধের মধ্যস্থতা করেছে ব্লাস্টের চট্টগ্রাম কার্যালয়।সংস্থাটির চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এডিআর-পদ্ধতিটাকে জনপ্রিয় করতে ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন। উন্নত বিশ্বে বিরোধ মেটানোর জন্য এটি খুবই জনপ্রিয় ব্যবস্থা। | 230,924 |
শেখ হাফিজুর রহমান | opinion | মতামত | ০২ আগস্ট ২০১৭, ১১:০০ | ০২ আগস্ট ২০১৭, ১২:০৬ | শেখ হাফিজুর রহমান,শিক্ষা,লেখকের কলাম | null | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আর কত নিচে নামাব আমরা? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1273561 | অনেক পণ্ডিত ও বিদগ্ধজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অধিক কিছু’ বলে থাকেন। কারণটি এই যে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখণ্ডে শিক্ষার বিস্তার, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ও বাঙালি জাতি গঠনে অবদান রাখার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি কিছু’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু, যিনি সত্যেন বোস নামে পরিচিত, একটি প্রবন্ধ পাঠান। তাঁর ওই প্রবন্ধ পড়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘আমার মতে বসু কর্তৃক প্ল্যাংক-সূত্র নির্ধারণের এই পদ্ধতিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ঢাকায় একসময়ে গড়ে উঠেছিল শক্তিশালী এক গবেষক দল, যারা মৌলিক পদার্থের প্রকৃতি সম্বন্ধে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিল। এসব গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন কে এস কৃপাণ, এস আর খাস্তগির, কাজী মোতাহার হোসেন এবং আরও অনেকে। এটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার শিক্ষকদের প্রকৃত পরিচয়, সত্যিকারের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যের জন্যই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জগন্নাথ হলে বসে লিখতে পেরেছিলেন: ‘এই কথাটি মনে রেখো, তোমাদের এই হাসি খেলায়...’ (অধ্যাপক এ এম হারুন-অর-রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব স্যুভেনির, ২০১২।) যে বিশ্ববিদ্যালয় ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ বলে খ্যাত ছিল, সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ এশিয়ার প্রথম ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নেই কেন এবং বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যে র্যাঙ্কিং হয়, ওই র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৭০০ স্তরের পরে কেন, সেই প্রশ্নটি করা কি আজ অবান্তর হবে? সিনেটের অধিবেশনে উপাচার্য নিয়োগের জন্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে যে দ্বিধাবিভক্তি লক্ষ করা গেল; শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে যে ন্যক্কারজনক ধস্তাধস্তি পুরো জাতি অবাক হয়ে অবলোকন করল, এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন, এ লজ্জা আমরা কোথায় রাখব? আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আর কত নিচে নামাব?দুই. গত ২২ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে নীল দল থেকে দুটি প্যানেল জমা পড়ে (যদিও সেটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে); অর্থাৎ নীল দল থেকে ৭০ জন শিক্ষক মনোনয়নপত্র জমা দেন, পরে একজন শিক্ষক তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু নীল দলের একটি প্যানেলের ৩৫ জনের মনোনয়ন নির্বাচন কমিশনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ যেভাবে কোনো নিয়ম–নীতির তোয়াক্কা না করে বাতিল করে দেন, সেটি ছিল আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। আইনের একজন ছাত্র হিসেবে তখনই আমার মনে হয়েছিল, ২২ মে সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। (যেসব শিক্ষকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল, তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরে তাঁরা নিবৃত্ত হন।) যথেষ্ট আগ্রহ ও অনুসন্ধিৎসু থাকার পরও নানা ব্যস্ততার কারণে এ ব্যাপারে আমার আইনি অনুসন্ধান আমি চালাতে পরিনি। তবে ২২ মে সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধির যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, ওই দিন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক মিজানুর রহমান খান প্রথম আলোয় একটি উপসম্পাদকীয় লেখেন, যার শিরোনাম ছিল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নির্বাচনের নয়া মডেল’। ওই উপসম্পাদকীয়তে জনাব খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি গণতন্ত্রের সূতিকাগার হয়, তাহলে সেই সূতিকাগারে আজ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি অভাবনীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ৩৫ বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অস্বীকার করা হয়েছে। ১৯৭৩ সালের আইনের কোন ধারা বলে ব্যালট পেপারে তাঁদের নাম থাকবে না, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। ১০৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন, যাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, তাঁরা প্রত্যেকে বৈধ প্রার্থী। কিন্তু বৈধ প্রার্থীর তালিকায় ওই ৩৫ জনের নাম নেই।’ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নির্বাচনের নয়া মডেল goo.gl/EgWGxK) জনাব খানের সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করি। তখনই আমরা এই নির্বাচন নিয়ে রিট মামলাসহ নানা ধরনের জটিলতার আশঙ্কা করেছিলাম, যা এখন বিভিন্ন ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জাকর ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে।তিন. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সিনেটে সম্প্রতি উপচার্য়ের প্যানেলের তিনটি নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সিনেট আইনগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ এবং নৈতিকভাবেও সমর্থনযোগ্য নয়। কেননা, প্রথমত ২২ মের সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ, যার বিস্তারিত আলোচনা মিজানুর রহমান খানের লেখায় পাওয়া যাবে। দ্বিতীয়ত, ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ থাকার পরও দীর্ঘ আট মাসেও ওই নির্বাচন করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ইচ্ছাকৃতভাবেই। রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি না থাকায় ১০৫ জনের সিনেটে ২৯ জুলাইয়ের অধিবেশনে ৫০ জনের মতো সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ফলে এই সিনেটের গঠন ক্রটিপূর্ণ। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশন ১৫ জন রিট আবেদনকারীর আবেদনের জবাবে ২৪ জুলাই রুল জারি করেন এবং ২৯ তারিখের সিনেট অধিবেশন স্থগিত করে দেন, যদিও ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার জজ ২৯ জুলাইয়ের অধিবেশেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। তবে ৬ আগস্ট বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে বলে প্রত্যাশা করছি।অর্ধেকের কম সদস্য নিয়ে যে সিনেটে উপাচার্যের প্যানেল হয়, তাকে কি সমর্থন করা যায়? দ্বিতীয়ত, বিরোধী দল অর্থাৎ সাদা দলের শিক্ষক প্রতিনিধিরা (তাঁরা সংখ্যায় ২ জন হলেও গণতান্ত্রিক চর্চায় তাঁদেরও গুরুত্ব রয়েছে) যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে অধিবেশনটি বর্জন করেছেন। তৃতীয়ত, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, অর্থাৎ রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি না থাকা এবং ডাকসু না থাকায় বর্তমান শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি বর্তমান সিনেটকে উচ্চাভিলাষী ব্যক্তিদের উপাচার্য হওয়ার হাতিয়ারে পরিণত করেছে, ফলে এটি নৈতিক মানদণ্ডে গ্রাহ্য নয়, আর ওই একই কারণে এটি সমর্থন করারও কোনো সুযোগ নেই।চারদীর্ঘ দিনের একটি ধারণা ছিল যে, সারা বাংলাদেশ অন্ধকারে তলিয়ে গেলেও যেখানে টিম টিম করে আলো জ্বলে, সেটি হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সামরিক শাসনের সময় হোক বা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শাসন চলেছে, অব্যাহত থেকেছে মুক্তবুদ্ধি ও গণতান্ত্রিক চর্চা। কিন্তু ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের পদ আঁকড়ে থাকার মানসিকতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের যে ব্যত্যয় হল, নৈতিকতার যে অধপতন হল, সেটি দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাস্কর ও মর্মান্তিক। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই। আমরা মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে বলতে চাই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন হয়ে ওঠে শিক্ষা ও গবেষণার প্রাণকেন্দ্র, প্রায় ১০০ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন হয়ে ওঠে মুক্তচিন্তা ও বহুত্ববাদের প্রকাশ ও বিকাশের পীঠস্থান।শেখ হাফিজুর রহমান : সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। | 330,179 |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ আগস্ট ২০১৪, ০২:২৪ | ১৭ আগস্ট ২০১৪, ০২:২৫ | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর | 0 | আসন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/293308 | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আসন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।‘শাহ আমানত হলের আবাসিক ছাত্রবৃন্দের’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা আসন বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ উল্লেখ করে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।গতকাল সকাল নয়টার দিকে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, শাহ আমানত আবাসিক ছাত্রাবাস নিয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বলি হতে চলেছে ৬৩২ জন আবাসিক শিক্ষার্থী। মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেওয়ার পর ছাত্রাবাস খোলার ব্যবস্থা না করে উল্টো আবাসিক শিক্ষার্থীদের আসন বাতিল করেছে।চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক ছাত্রশিবির নেতা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন থেকে শাহ আমানত আবাসিক ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। | 85,600 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫০ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৪ | খেলা | 0 | টিটিতে কোচই খেলার সঙ্গী | http://www.prothom-alo.com/sports/article/699565 | তাঁরা কোচ ও খেলোয়াড়দের অনুশীলনসঙ্গীও। পেশাদার কোচ যেভাবে খেলোয়াড়দের নির্দেশনা দেন, তার চেয়েও একটু বেশি দায়িত্ব স্নেহময় মল্লিক ও শুভেন্দু সাওয়ের। দুজনই টেবিল টেনিসের নতুন কোচ, তবে তাঁদের গায়ে এখনো উজ্জ্বল খেলোয়াড়ের তকমা। এসএ গেমসের আবাসিক ক্যাম্পে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গত ২৭ নভেম্বর আনা হয়েছে এই দুই তরুণ খেলোয়াড়কে।পশ্চিমবঙ্গের টেবিল টেনিসের র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে স্নেহময়, পাঁচে শুভেন্দু। আর ভারতের জাতীয় যুব চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপ দলের সদস্য। ফেডারেশন কর্মকর্তাদের ভাষায় এরা ‘প্র্যাকটিস পার্টনার’। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এমন ‘কোচ কাম প্র্যাকটিস পার্টনার’ এনেই নাকি সাফল্য পেয়েছে ইরান। ইদানীং ভারতেও এভাবে কোচ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত ওই ধারা অনুসরণ, আর তিন মাসের জন্য বিদেশি কোচ এনে খুব লাভ নেই ভেবেই নাকি ফেডারেশন এই পথে হেঁটেছে।কোচের বেতন বাবদই প্রশিক্ষণ খাত থেকে টাকা বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। তবে ফেডারেশন একজন কোচের জন্য বরাদ্দ মাসিক বেতনে এনেছে এই দুজন ‘প্র্যাকটিস পার্টনার’কে। কোচের জন্য প্রতি মাসে বিওএ দেয় ৬০ হাজার টাকা। আর অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয় ফেডারেশনকে। কিন্তু এমন স্বল্প অভিজ্ঞ কোচ দিয়ে কতটুকু উন্নতি সম্ভব? স্নেহময় বলছিলেন, ‘এর আগে এখানে লিগে খেলে গেছি। তখন বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় মানসকে হারিয়েছি। এর মানে ওদের খেলায় অনেক দুর্বলতা আছে। সেগুলোই ধরিয়ে দিচ্ছি একসঙ্গে খেলে।’তবে খেলোয়াড়েরা এমন অনুশীলনসঙ্গী পাওয়ায় খুশি। জাভেদ আহমেদ কোচদের বন্ধুর মতোই দেখছেন, ‘যেহেতু একই বয়সী আমরা, তাই সহজে মিশতে পারছি। তা ছাড়া দুই বাংলার ভাষা এক, এটাও অনুশীলনে কাজে দিচ্ছে।’ সুমাইয়া রহমান মীমের কথা, ‘আরও আগে এই দুজনকে অনুশীলনের জন্য পেলে ভালো হতো। দুজনই আমাদের ভুলগুলো দ্রুত ধরিয়ে দিচ্ছেন।’ এসএগেমসেরপ্রস্তুতিটিটিতেকোচইখেলারসঙ্গীক্রীড়া প্রতিবেদকতাঁরা কোচ ও খেলোয়াড়দের অনুশীলনসঙ্গীও।পেশাদার কোচ যেভাবে খেলোয়াড়দের নির্দেশনা দেন, তার চেয়েও একটু বেশি দায়িত্ব স্নেহময় মল্লিক ও শুভেন্দু সাওয়ের।দুজনই টেবিল টেনিসের নতুন কোচ, তবে তাঁদের গায়ে এখনো উজ্জ্বল খেলোয়াড়ের তকমা।এসএ গেমসের আবাসিক ক্যাম্পে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গত ২৭ নভেম্বর আনা হয়েছে এই দুই তরুণ খেলোয়াড়কে।পশ্চিমবঙ্গের টেবিল টেনিসের র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে স্নেহময়, পাঁচে শুভেন্দু।আর ভারতের জাতীয় যুব চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপ দলের সদস্য।ফেডারেশন কর্মকর্তাদের ভাষায় এরা ‘প্র্যাকটিস পার্টনার’।দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এমন ‘কোচ কাম প্র্যাকটিস পার্টনার’ এনেই নাকি সাফল্য পেয়েছে ইরান।ইদানীং ভারতেও এভাবে কোচ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।প্রথমত ওই ধারা অনুসরণ, আর তিন মাসের জন্য বিদেশি কোচ এনে খুব লাভ নেই ভেবেই নাকি ফেডারেশন এই পথে হেঁটেছে।কোচের বেতন বাবদই প্রশিক্ষণ খাত থেকে টাকা বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।তবে ফেডারেশন একজন কোচের জন্য বরাদ্দ মাসিক বেতনে এনেছে এই দুজন ‘প্র্যাকটিস পার্টনার’কে।কোচের জন্য প্রতি মাসে বিওএ দেয় ৬০ হাজার টাকা।আর অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয় ফেডারেশনকে।কিন্তু এমন স্বল্প অভিজ্ঞ কোচ দিয়ে কতটুকু উন্নতি সম্ভব? স্নেহময় বলছিলেন, ‘এর আগে এখানে লিগে খেলে গেছি।তখন বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় মানসকে হারিয়েছি।এর মানে ওদের খেলায় অনেক দুর্বলতা আছে।সেগুলোই ধরিয়ে দিচ্ছি একসঙ্গে খেলে।’তবে খেলোয়াড়েরা এমন অনুশীলনসঙ্গী পাওয়ায় খুশি।জাভেদ আহমেদ কোচদের বন্ধুর মতোই দেখছেন, ‘যেহেতু একই বয়সী আমরা, তাই সহজে মিশতে পারছি।তা ছাড়া দুই বাংলার ভাষা এক, এটাও অনুশীলনে কাজে দিচ্ছে।’ সুমাইয়া রহমান মীমের কথা, ‘আরও আগে এই দুজনকে অনুশীলনের জন্য পেলে ভালো হতো।দুজনই আমাদের ভুলগুলো দ্রুত ধরিয়ে দিচ্ছেন।’ | 179,418 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:৪৭ | ১২ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:১৮ | আইন ও বিচার,রাজনীতি | null | জোবায়দাকে যেতে হবে বিচারিক আদালতে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1143431 | দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। পাশাপাশি এ মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছেআজ বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত রুল খারিজ করে এ রায় দেন।এর ফলে জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা এ মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।এর আগে রুলের ওপর শুনানি শেষে ১০ জানুয়ারি বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ রায় হয়।জোবাইদা রহমানের পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল।চিকিৎসক জোবায়দা স্বামী তারেকের সঙ্গে আট বছর ধরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।তারেক, তাঁর স্ত্রী জোবায়দা ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় এ মামলা হয়। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। আরও পড়ুন : তারেকের শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা | 310,914 |
-1 | sports | খেলা | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৮ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১১ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | যুক্তি আছে লয়েডেরও | http://www.prothom-alo.com/sports/article/424606 | ক্যারিবিয়ানজুড়ে সমালোচনার ঝড় যতই চলুক, ক্রিকেট-দুনিয়ায় জোগাক বিস্ময় আর হাসির খোরাক—ক্লাইভ লয়েড আছেন নিজের জায়গাতেই। ডোয়াইন ব্রাভো ও কাইরন পোলার্ডকে দলে না রাখার নানা যুক্তি দিয়েই যাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাচক। এই দুজনের পারফরম্যান্সে ঘাটতি আর দলের ভবিষ্যৎ ভাবনাতেই নাকি জায়গা হয়নি তাঁদের!ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল ঘোষণা করা হয়েছিল বিবৃতি পাঠিয়ে, সংবাদ সম্মেলন করে নয়। ওই বিবৃতিতেই জুড়ে দেওয়া ছিল লয়েডের কথা। এর বাইরে তাঁর বক্তব্য আর পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে লয়েড কথা বলেছেন দল নিয়ে। ব্রাভো-পোলার্ডকে বাদ দেওয়া নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটি খুব কঠিন ছিল। এটুকু বলি যে টানা দুই দিন আলোচনা হয়েছে এটা নিয়ে। অনেক অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু একটা পর্যায় আসে যখন ভাবতে হয়, ঠিক আছে, আমরা এই জায়গাটায় নিজেদের নিয়ে যেতে চাই। লোকদের এটা বোঝা বা মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু আমরা চেয়েছি নতুন একজন অধিনায়ককে নিয়ে সামনে তাকাতে।’২০১১ বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে রানের তালিকায় ব্রাভো ও পোলার্ড আছেন চার ও পাঁচে। তার পরও পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন কেন? লয়েডের উত্তর বিস্ময় জাগাতে পারে নতুন করে, ‘আমার মনে হয় না ওদের পারফরম্যান্স ব্যতিক্রমী কিছু ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুজনের কারও ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নেই। ওদের পারফরম্যান্স ছিল গড়পড়তা। আমরা সত্যিকার অর্থেই এমন ক্রিকেটারদের বেছে নিতে চাই যারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ভালো কিছু করেছে, অন্য কারও জন্য নয়।’প্রধান নির্বাচকের এই কথাতেই হয়তো লুকিয়ে আছে বাস্তবতা। ক্রিকেট-বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হয়ে ব্রাভা-পোলার্ডের যে পারফরম্যান্স, দেশের হয়ে ততটা উজ্জ্বল নয় সত্যিই। তবে সেটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে জায়গা না পাওয়ার মতো খারাপও নয়!ব্রাভো-পোলার্ডের বাদ পড়ায় ক্রিস গেইলের বিস্ফোরণ নিয়ে অবশ্য খুব কঠিন কিছু বলেননি লয়েড, ‘ওর এমন মনে হতে পারে। তবে এ মুহূর্তে বাস্তবতা হলো, সে নির্বাচক নয়। একজন ক্রিকেটার। ওর প্রতি আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা আছে। তবে ওকে বুঝতে হবে আমরা কী করার চেষ্টা করছি। যে দলটিকে নিয়ে আমরা সামনে এগোতে চাই, ক্রিসও সেটির অংশ। ওকে বলা হলেই বুঝতে পারবে আমরা কী করার চেষ্টা করছি।’ ক্রিকইনফো। | 106,882 |
প্রণব বল, হাটহাজারী থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১১ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১২ | উপজেলা পরিষদ নির্বাচন,হাটহাজারী,চট্টগ্রাম | 0 | নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভোটের হার কম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/151315 | বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ভোটারদের ভোট দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এখান থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।ভোট না দিতে পারার ‘হতাশা’ ও ‘ক্ষোভ’ থেকে গতকাল বুধবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারের ঢল নামবে—এমন আশা ছিল অনেকের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হয়নি।ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় হতাশ প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন দল-সমর্থিত প্রার্থী থাকার পরও কেন ভোটার উপস্থিতি কম, তার কারণ খুঁজছেন প্রার্থীরা।এই প্রতিবেদন লেখার সময় হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০টির ফল ঘোষণা করা হয়। এই ২০টি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ২৭ শতাংশ বলে জানা গেছে।বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে কোথাও ভোটারের তেমন কোনো লাইন দেখা যায়নি। সকাল ১০টায় ফতেয়াবাদ বহুমুখী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০০ ভোটও পড়েনি। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এস এম আবু তাহের ছিদ্দিকী বলেন, ‘উপস্থিতি অনেক কম। সেটা কেন বুঝতে পারছি না।’অন্যদিকে হাটহাজারীর পার্বতী মডেল উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বেলা দুইটা পর্যন্ত ভোট পড়ে প্রায় ৬০০। এই কেন্দ্রে বেলা তিনটার দিকে দেখা হয় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইসলামী ঐক্যজোট-সমর্থিত নাছির উদ্দিন মুনীরের সঙ্গে। তিনি ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘সব দল অংশ নিয়েছে। কিন্তু ভোটার এল না কেন, বুঝতে পারছি না। জাতীয় নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে।’ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ইসমাইল বলেন, ‘আমরা অনেক প্রচারণা চালিয়েছি। কিন্তু ভোটার এল না কেন, বুঝতে পারছি না।’নাসিরুল আলম নামের একজন ভোটার বলেন, ‘এক দিনে সব উপজেলায় নির্বাচন হলে ভোটার হয়তো আরও বাড়ত। এখন অনেকের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই।’সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম। তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের গোলযোগ হয়নি।’ | 52,851 |
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুলাই ২০১৭, ০১:০৪ | ২৮ জুলাই ২০১৭, ০১:০৬ | সৈয়দপুর,নীলফামারী,রংপুর বিভাগ | 0 | নতুন বগিতে সাজবে লালমণি এক্সপ্রেস | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1267966 | লালমণি এক্সপ্রেস আন্তনগর ট্রেনের জন্য নতুন বগি বানাচ্ছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। পুরোনো ১৮টি বগি ভেঙে গত জুলাই মাস থেকে নতুন বগি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আগামী জানুয়ারি মাসে ১২টি বগির কাজ শেষ হবে।সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট থেকে ঢাকা অভিমুখে চলাচলকারী লালমনিরহাট এক্সপ্রেস অনেক পুরোনো। ফলে এটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে, গতিও কমে গেছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে ওই ট্রেনবহরে অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের বগি সংযোজন করার চিন্তাভাবনা করেছে কর্তৃপক্ষ। অবশ্য এই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছিল।বাংলাদেশ রেলওয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পুরোনো ১৮টি বগি পাঠিয়েছে। জার্মান প্রযুক্তির এসব বগি ইরানে তৈরি করা হয়েছে। এর আগে ওই বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে একটি আন্তনগর ট্রেনে ব্যবহার করা হতো। ওই বগিগুলোর অবকাঠামো সম্পূর্ণ খুলে ফেলা হচ্ছে। এসব বগি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। আর প্রতিটি বগি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭০ লাখ টাকা।কারখানা সূত্র জানায়, আগামী জানুয়ারি মাসে প্রথমে ১২টি বগি রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে। এগুলো দিয়ে লালমণি এক্সপ্রেস নতুন সাজে সাজবে। তবে এক্সপ্রেসের রং কী হবে—তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বাকি ৬টি বগি পরের নির্দেশ অনুযায়ী হস্তান্তর করা হবে। ১৯ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. শামসুজ্জামান কাজ দেখতে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) ইফতেখার হোসেন, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) বেলাল হোসেন সরকার প্রমুখ। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা বলেন, নতুন বগিগুলোর নির্মাণ কাঠামোতে পরিবর্তন আসছে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে আর সেই সঙ্গে ট্রেনের গতিও বাড়বে। এতে চেয়ার কোচ সংযোজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বগিও থাকবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি, আরএস) মো. শামসুজ্জামান গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বলেন, লালমণি এক্সপ্রেস ট্রেনকে আধুনিক করতে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। | 329,229 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:৩৫ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:৪৯ | দেশের ক্রিকেট | null | দেশে ফিরেই নেটে তামিম | http://www.prothom-alo.com/sports/article/784399 | বাবা হয়েছেন কালই। এখনো আনন্দ-অনুভূতির রেশ কাটেনি। কিন্তু পিতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাংকক থেকে ঢাকা ফিরেছেন তামিম ইকবাল। দেশে ফিরে বিশ্রাম নয়। মিরপুরে গিয়ে শুরু করে দেন অনুশীলন।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর আজ বিশ্রামে ছিলেন জাতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই। তবে সৌম্য সরকার ও নাসির হোসেন টুকটাক অনুশীলন করেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের তত্ত্বাবধানে। এর মধ্যে তামিম ইকবালের উপস্থিতি অবাক করেছে সবাইকে।নেটে খুব মন দিয়েই অনুশীলন করেন তামিম। কোচ হাথুরুসিংহেরও অখণ্ড দৃষ্টি ছিল তাঁর দিকে। শিষ্যের ভুল-ভ্রান্তিগুলোও শুধরে দিয়েছেন বেশ কয়েকবার।গতকাল রোববার সকালেই তামিম ও তাঁর স্ত্রী আয়েশার সংসার আলো করে আসে এক পুত্র সন্তান। সন্তানের জন্ম মুহূর্তে স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য চলমান এশিয়া কাপে খেলছেন না দেশের ক্রিকেটের অন্যতম এই তারকা। | 206,109 |
শিশির মোড়ল | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৪৬ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৫৩ | -1 | null | চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় নতুন পদ্ধতির পরীক্ষা কালীগঞ্জে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1046323 | গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে সকাল সাড়ে নয়টায় মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের তিনটি পৃথক সারি। তিনজন কর্মী রোগীর নাম ও প্রাথমিক তথ্য কম্পিউটারে তোলায় ব্যস্ত। এঁদেরই একজন আমিনুল ইসলাম সারির সামনে থাকা মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘নাম কী?’ উত্তর, ‘আয়তুন আক্তার’। ‘বয়স?’ উত্তর, ‘৩০ বছর’। আমিনুল সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করতেই আয়তুন বললেন, ‘জ্বর জ্বর ভাব। শরীরে ব্যথা।’কম্পিউটারে আয়তুনের নামের পাশে একটি নম্বর ভেসে উঠল: বিডিএইচ ২৭০০৪৮। এটাই আয়তুনের পরিচিতি নম্বর। আমিনুল একটি কাগজে নাম ও ২৭০০৪৮ লিখে আয়তুনের হাতে দিয়ে ১২৫ নম্বর কক্ষে যেতে বললেন।নিচতলার ১২৫ নম্বর কক্ষ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ শামসুন নাহারের। আয়তুন তাঁর হাতে কাগজটি দিলেন। শামসুন নাহার ওই পরিচিতি নম্বর লিখে রোগীর প্রাথমিক তথ্য জেনে যান। চিকিৎসক রোগীকে নানা প্রশ্ন করেন। রোগী উত্তর দেন। চিকিৎসক কম্পিউটারে লিখতে থাকেন। এরপর চিকিৎসক আয়তুনকে ফার্মেসি থেকে ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন।চারটি কক্ষ পরেই ফার্মেসি। সেখানে ফার্মাসিস্ট কম্পিউটার ডেটাবেইস থেকে জেনে গেছেন ব্যবস্থাপত্র। আয়তুন পৌঁছানোর আগেই ওষুধ প্রস্তুত।চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোগীর কোনো ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হলে একইভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিকিৎসকের নির্দেশনা চলে যায়। পরিচিতি নম্বর নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলও কম্পিউটার ডেটাবেইসে রোগীর তথ্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।আমিনুল ইসলাম ও শামসুন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, আয়তুনের জন্য পরিচিতি নম্বরটি গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালে যত রোগী আসছে, প্রত্যেককে পৃথক নম্বর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রোগীর নাম, বয়স, ঠিকানার সঙ্গে রোগের নাম ও কী ওষুধ রোগীকে দেওয়া হচ্ছে তাও সংরক্ষণ করা হচ্ছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা এ এম ইশতিয়াক রোহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে শেয়ার্ড হেলথ রেকর্ড নামের একটি দিশারি প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালে এভাবে ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে রোগীর তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে রোগী এলে সংরক্ষিত তথ্য থেকে চিকিৎসক সহজে ইতিহাস জানতে পারছেন।’স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিশারি প্রকল্পটি আরও এক বছর চলবে। আমরা পরীক্ষা ও ভুলের (ট্রায়াল অ্যান্ড এরর) মধ্য দিয়ে শিখছি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এর বিস্তার ঘটানো হবে দেশব্যাপী।’হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিনিধিদল প্রযুক্তির এই নতুন প্রয়োগ দেখে গেছেন। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এসেছেন। তাঁরা ছোটখাটো সীমাবদ্ধতা দূর করে প্রকল্পের বিস্তার ঘটানোর পক্ষেই মত দিয়েছেন।এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এ থেকে সুদূরপ্রসারী সুফল পাওয়া যাবে। এই তথ্য ব্যবহার করে রোগব্যাধি সম্পর্কে পরিসংখ্যান সহজে পাওয়া যাবে। তা ছাড়া পরিচিতি নম্বর নিয়ে রোগী ভবিষ্যতে যেকোনো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবে।কেন এই উদ্যোগ* উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী, রোগ ও চিকিৎসার তথ্যের ডেটাবেইস তৈরি হচ্ছে * চিকিৎসক কম্পিউটারে পেয়ে যান রোগীর চিকিৎসার ইতিহাস * উপজেলার হাসপাতালের সংরক্ষিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে জেলা সদর হাসপাতালেস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ও গাজীপুর সদর হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা, রোগীর ব্যবস্থাপত্র তৈরি ও তথ্য সংরক্ষণের একটি বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রোগীর প্রাথমিক তথ্য, রোগ, কী পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষার ফল, ওষুধ ইত্যাদি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা আছে।শামসুন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এতে রোগীর আগে কী পরীক্ষা দেওয়া হয়েছিল, পরীক্ষার ফলাফল, তার ভিত্তিতে কী ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তা পাওয়া যাচ্ছে। এতে রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেওয়া সহজ হচ্ছে।’হাসপাতালের অন্য মেডিকেল কর্মকর্তা অরূপ কুমার দাস বলেন, ‘সংরক্ষিত তথ্য গবেষণা ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় কাজে লাগবে। এ থেকে জানা যাবে নির্দিষ্ট সময়ে কোন রোগ বেশি হচ্ছে, এলাকায় কোন রোগের প্রকোপ বেশি।’এই হাসপাতাল থেকে রোগীকে গাজীপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো (রেফার্ড) হয়। জেলা ও উপজেলা একই নেটওয়ার্কে থাকায় কালীগঞ্জের রোগীর তথ্য সদর হাসপাতাল থেকে কম্পিউটারে দেখা যায়।হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট ছকে ব্যবস্থাপত্র দিতে হয়। এখানে দায়সারা গোছের কিছু করার সুযোগ কম। রোগীর চাপ বেশি থাকলে সব তথ্য নিখুঁতভাবে তুলে রাখা কঠিন। মেডিসিন পরামর্শক মোস্তাক হোসেন বলেছেন, ‘পদ্ধতিটি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে, ফলাফল বিশ্লেষণের পর মান (স্ট্যান্ডার্ড) ঠিক হবে। টিকা বা যক্ষ্মার মতো কার্ডের ব্যবস্থা করলে কাজটি সহজ হবে।’আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, একপর্যায়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রোগীর নিবন্ধন করার চিন্তা সরকারের আছে। হাসপাতালে এসে আঙুলের ছাপ দিয়ে চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। | 277,182 |
অনলাইন ডেস্ক | economy | অর্থনীতি | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২২:৪০ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২২:৪১ | বাণিজ্য সংবাদ | 0 | মাইটেলের পণ্য নিয়ে আলোচনা সভা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/454483 | মাইটেল-এর পণ্য নিয়ে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘Briefing of Mitel’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। একে খান টেলিকম লিমিটেড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানের শুরুতেই একে খান টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাসেম খান অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি মাইটেল টেলিকমের সঙ্গে পার্টনারশিপের বিষয়ে কিছু ধারণা দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারত-বাংলাদেশ মাইটেল টেলিকমের প্রধান অনুরাগ কুমার, বাংলাদেশে মাইটেল টেলিকমের কার্যক্রম ও এর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কানাডা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাসুদ রহমান তথ্যপ্রযুক্তির নানাবিধ সুবিধা ও বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ সম্পর্কে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার পিয়েরা লারামি। | 115,952 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৮ আগস্ট ২০১৩, ১৯:৩৬ | ২৮ আগস্ট ২০১৩, ১৯:৩৯ | আফ্রিকা | null | আসাদকে শায়েস্তায় প্রস্তুত পশ্চিমারা | http://www.prothom-alo.com/international/article/42738 | সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা প্রস্তুত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এ হামলা চালানো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান হামলার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সিরিয়ার সাধারণ জনগণকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব আজই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে জানিয়েছে, সিরিয়ায় হামলার জন্য দেশটির নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ওবামা প্রশাসন। সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার পর মিত্রদের সঙ্গে ৮৮ বার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল গতকাল মঙ্গলবার বিবিসিকে বলেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশের অপেক্ষায় মার্কিন সেনারা। তারা সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জায়গামতো রেখেছি।’মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘সিরিয়ায় জঘন্য রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সিরিয়ার সরকারই দায়ী।’সিরিয়া বিষয়ে সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ আজ আলোচনায় বসছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে বিতর্কের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকা হয়েছে।ক্যামেরন গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, দেশের মানুষের ওপর সিরিয়ার সরকার রাসায়নিক হামলা চালানোর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ করে থাকবে না।সিরিয়া বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে পরিকল্পনার খসড়া প্রণয়ন করছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেছেন, রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের জন্য আসাদকে শাস্তি দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।অস্ট্রেলিয়া আজ জানিয়ে দিয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হলে সিরিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তারা প্রস্তুত।সিরিয়ার সরকারবিরোধী সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশনের প্রেসিডেন্ট আহমেদ জারবা তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। ভবিষ্যতে রাসায়নিক হামলা বন্ধে শিগগিরই আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ চালানোর দাবি করেছেন তিনি।সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণের মধ্যে খুব কমই সমর্থন আছে। তাই সিরিয়ায় সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান হামলার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে দুই বৃহত্ শক্তি রাশিয়া ও চীন এবং ইরান। মস্কো বলেছে, সিরিয়ায় শক্তি প্রয়োগ ওই অঞ্চলের জন্য ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ ডেকে আনবে।সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দল আজ আবারও ঘটনাস্থলে গেছে। সঠিক তথ্য উদঘাটনে বিশেষজ্ঞ দলকে সময় দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।সিরিয়ার আসাদবিরোধীদের অভিযোগ, ২১ আগস্ট রাজধানী দামেস্কের অদূরে সেনাবাহিনী রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা চালিয়েছে। এতে শিশুসহ অন্তত তিন শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন সহস্রাধিক।দেশটির সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিরপেক্ষ অন্য কোনো সূত্র থেকে এ অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। | 12,327 |
-1 | sports | খেলা | ২৯ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৫ | ২৯ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৫ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | মরিনহোর সঙ্গে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1009697 | শত্রুর শত্রু নাকি বন্ধু। বার্সেলোনা কি এই বিশ্বাসেই ম্যানচেস্টারে হোটেল ঠিক করেছে? না হলে হোসে মরিনহো যেখানে ‘বসতি’ গেড়েছেন, সেই লোরি হোটেলেই কেন উঠবে কাতালান ক্লাবটি? ১ নভেম্বর চ্যাম্পিয়নস লিগে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ম্যাচ বার্সার। সাবেক কোচ হলেও অন্তত এই একটা ম্যাচে গার্দিওলা বার্সার ‘শত্রু’। তাঁর সঙ্গে মরিনহোর সম্পর্কও মোটেই বন্ধুত্বসুলভ নয়। পরিবার লন্ডনে বলে লোরি হোটেলই ইউনাইটেড কোচের অস্থায়ী ঠিকানা। সেই মরিনহোর সঙ্গে সলাপরামর্শ করতেই তাঁর প্রতিবেশী হচ্ছে বার্সা? না, নিছকই মজা করে বলা। ম্যানচেস্টারে গেলে শহরটির অন্যতম বিলাসবহুল হোটেলেই তো ওঠার কথা মেসি-নেইমারদের। আর মরিনহোর সঙ্গে বার্সেলোনারই সম্পর্কের যে রসায়ন, তাতে বন্ধুত্ব হতে পারে না! মার্কা। | 260,468 |
শফিক আল মামুন | entertainment | বিনোদন | ১৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:৫৪ | ১৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:৫৫ | টেলিভিশন | 0 | ‘বিজলি’ ফিরছে! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/831274 | গত বছরের ঈদুল ফিতরে পুরান ঢাকার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছিল খণ্ড ধারাবাহিক ‘বাকরখানি’। তাতে পুরান ঢাকার এক চঞ্চলা মেয়ে ‘বিজলি’-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাবিলা নুর। তানিম পারভেজ পরিচালিত নাটকটি দেখিয়েছিল দেশ টিভি। আবার আসছে ঈদ। এই ঈদে দর্শকদের কাছে আবারও ফিরবে পুরান ঢাকার বিজলি।এ প্রসঙ্গে সাবিলা নুর জানিয়েছেন, ঈদের জন্য ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ নামে একটি নাটক তৈরি হবে। সেই নাটকেও ‘বিজলি’ নামের একটি চরিত্র আছে। চরিত্রটিতে অভিনয় করবেন তিনি।আগের নাটকের মতো এই নাটকের ভাষা, চরিত্রটির নাম, কার্যক্রম একই রকম হলেও নতুন নাটকের নাম ও গল্প আলাদা।সাবিলা মনে করেন, নাটকটি তাঁর জন্য যেমন রোমাঞ্চকর হবে, তেমনি দর্শকদের জন্যও হবে দারুণ উপভোগ্য।সাবিলা বলেন, ‘এ নাটকে পুরান ঢাকার মেয়ে “বিজলি” চরিত্রটি করতে গিয়ে শুটিংয়ের সময়টা খুব উপভোগ করেছিলাম। এবারও “বিজলি” চরিত্রে, একই ধরনের আরেকটি কাজ করতে যাচ্ছি। আশা করছি, এবারও খুব মজা হবে।’সাবিলা নুর আরও বলেন, ‘চরিত্রটির ঢং কিছুটা আগের নাটকের মতো হলেও এবারের গল্পটি একেবারেই আলাদা। গতবারই প্রথম পুরান ঢাকার মেয়ের চরিত্রে কাজ করেছিলাম। অভিজ্ঞতাও কম ছিল। এবার ‘বিজলি’ চরিত্রটি আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাওয়া যাবে।’‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করছেন মনিরুজ্জামান লিপন। সাবিলা নুর জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার পুরান ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শুটিং শুরু হয়েছে। নাটকে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন মিশু সাব্বির। | 220,513 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১১ জুন ২০১৬, ০০:০২ | ১১ জুন ২০১৬, ০০:০২ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,কম্পিউটার | 0 | নতুন ল্যাপটপ | http://www.prothom-alo.com/technology/article/884017 | আসুস জেনবুক এক্স৫৫৬ইউবি-৬৫০০ইউ মডেলের ল্যাপটপ বাজারে এনেছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড। এতে ইন্টেল কোরআই-প্রসেসর, এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ৯৪০এম ভিডিও গ্রাফিকস এবং ১৫.৬ ইঞ্চি পর্দা আছে। এর সঙ্গে ২ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক ও ৮ গিগাবাইট ডিডিআর ৩ র্যাম যোগ করা হয়েছে। দাম ৬৬ হাজার টাকা।বিজ্ঞপ্তি | 231,242 |
জিয়াউর রহমান চৌধুরী | life-style | জীবনযাপন | ২০ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২১ | ২০ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৩৯ | নকশা,বেড়ানো | null | জলের ধারে কিসের নাচন | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/428704 | মাছরাঙাটা একদৃষ্টিতে পানির দিকে চেয়ে আছে। নৌকা যায়, ট্রলার যায়। পাখিটি খাবার ধরবে বলে জলের দিকে তাকিয়ে থাকে। নদীর জলরাশির ওপরে কিছু পানকৌড়ি, কাদাখোঁচা আর গাংচিলের ওড়াওড়ি চোখে পড়ে। আর জলের পথে পথে ছোট মাছ ধরার নৌকায় জেলেদের রাজত্ব। ধান, নদী আর খালের বরিশােল এমন ছবি আপনার চোখে পড়তে পারে। শীতের শুরুতেই দেখে এসেছিলাম এই বরিশাল।নদীর নাম কালাবদর। বরিশালের পাতারহাট থেকে লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে পথে দূরের গ্রামগুলোতে ছোট ছোট পানের বরজ। বাঁশের কঞ্চি (স্থানীয়রা বলেন জিংলা) আর পাটকাঠির বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে সবুজ-সতেজ পানগাছ চোখ মেলে তাকাবে। মাটিতে পানগাছ আর কম পানিতে আছে পাটিপাতা। এটি অবশ্য স্থানীয়ভাবে হোগলা বা হোগলপাতা নামেও পরিচিত। চরের বরজগুলোতে অবশ্য কৃষক ছাড়া কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। বাইরে থেকে পানগাছ দেখে তুষ্ট থাকতে হলো। পাতারহাট থেকে যাওয়ার পথে ছোট ছোট কয়েকটি ঘাট পড়বে। এসব ঘাটে স্থানীয় কিছু পণ্যের বেচাকেনা চলে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হবে লেবু আর মহিষের দই। আবার এই দুইয়ের মিশ্রণের স্বাদটাও আপনার কাছে অমৃত মনে হতে পারে। আমরাও একটু চেখে দেখেছিলাম।ভ্রমণে অবশ্য একটু বিপত্তিই ঘটেছিল। ঢাকা-বরিশাল লঞ্চযাত্রা তো দারুণ। শুরুটাও দারুণই ছিল। তবে বাড়তি রোমাঞ্চের লোভ করতেই বিপদে পড়লাম। লেংগুটিয়া থেকে বরিশাল শহর যাওয়ার পথটুকু স্পিডবোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। অল্প পথ, কিন্তু কিছুদূর যেতেই স্পিডবোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেল। চালক অবশ্য ধীরে ধীরে তীরের দিকে নিয়ে যান। সে যাত্রায় আমরাও বেঁচে যাই। পরের স্পিডবোট আসতে আসতে রথ দেখা আর কলা বেচা মানে অপেক্ষা আর চর দেখা এক সঙ্গেই হয়ে যায়। যাওয়ার পথেও নদীতে কখনো কখনো চরের দেখা মিলবে। সে চরে আবার পাখি-মহিষের একসঙ্গে বসবাস। মহিষের শিংয়ের ডগায় বিশ্রাম নেয় গাংচিল, কাদাখোঁচা। আবার ক্লান্ত মহিষগুলোও কিছু সময় পর পর গলাপানিতে ডুব মেরে বসে থাকে।এ ছিল দুপুরের কালাবদর নদের কথা। ভোর সকালের কালাবদর নদের পাশের উলানিয়া গ্রামটা আরও মায়াময়। ধানের ওপর শিশিরবিন্দু আর সরিষার খেতে মৌমাছির আনাগোনা সব আছে এখানে। হালকা শীতে, কোথাও কোথাও খেজুরের রসে গলা ভেজানোর সুযোগ আছে। আর রাতের নদীর পাড় ধরা দেবে অন্যভাবে। চাঁদের আলোয় চিকচিকে রুপালি নদীতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো যাবে অনায়াসেই। দূরপথের জাহাজের আলো আর জেলে-মাঝিদের নৌকার টিম টিম লণ্ঠন চোখ পড়বে কিছুক্ষণ পর পর। জেলেদের হাঁকডাকও শোনা যায় বেশ। কালাবদর নদের মতো বরিশালের কীর্তনখোলা আর অন্য নদীগুলোর পানিও এমন রুপালি চাদর বিছিয়ে দেবে জলপথে। আর আপনাকে স্বাগত জানাবে ধান-নদীর বরিশালে।যেভাবে যাবেনমেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাট, লাহারহাট বা লেংগুটিয়া যেতে হলে ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়াগামী লঞ্চে উঠতে হবে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে লঞ্চ ছাড়া শুরু হয়। এখানে ডেক বা কেবিন দুই পদ্ধতিতে যাওয়া যায়। ডেকের ভাড়া ২২০ টাকা। আর কেবিন (সিঙ্গল) ৮০০ টাকা, (ডাবল) ১৬০০ টাকা। ফেরার পথেও একইভাবে ফেরা যাবে। আর থাকতে হলে উপজেলা পরিষদের বাংলো, কিংবা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রেস্ট হাউসে উঠতে হবে। তবে আগ থেকেই খোঁজখবর নিয়ে থাকা ভালো। না হয় থাকা নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হবে। আর ঘুরতে গেলে স্থানীয় একজন গাইডকে সঙ্গে নেওয়া ভালো। আর সাঁতার না জানলে লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে রাখাটাই নিরাপদ। | 108,370 |
জামালপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৩:৩৩ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৩:৩৪ | বিশাল বাংলা | 0 | ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকেরা বেকার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1090648 | জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে এক বছর ধরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। পরিবেশসংক্রান্ত বিষয়ের অজুহাত দেখিয়ে ভারতীয় পাথর ব্যবসায়ীরা রপ্তানি বন্ধ রাখায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।এতে স্থলবন্দরটির প্রায় পাঁচ হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন ক্ষতির মুখে। পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় সরকার গত এক বছরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।কামালপুর স্থলবন্দরের রাজস্ব কার্যালয় সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় পাথর আমদানি খাত থেকে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বছরের পাঁচ-ছয় কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০টি ট্রাক ও গাড়ি পাথর নিয়ে আসত। ২০১৫ সালেও বন্দরটি দিয়ে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছিল। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে মাত্র ৫৬ মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়। এরপর থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে আদা ও সুপারি আমদানি চালু রয়েছে।স্থানীয় কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ী বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কোনো সমস্যা নেই। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা পাথর রপ্তানি না করে ভারতের রাস্তা খারাপ ও পরিবেশসংক্রান্ত অজুহাত দেখাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তা সমাধান না হওয়ার কারণে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারছে না স্থলবন্দরটি। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় বসেও সমাধান হচ্ছে না। তবে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।স্থলবন্দরের শ্রমিক নূর ইসলাম বলেন, এক বছর আগেও স্থলবন্দরটি কর্মচঞ্চল ছিল। বন্দরে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক পাথর ভাঙার কাজ করতেন। পাথর আসা বন্ধ থাকার কারণে এই শ্রমিকেরা এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কাজ না থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন।এ ব্যাপারে আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি ও কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, শতাধিক পাথর ব্যবসায়ী এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পাথরের জন্য দেওয়া টাকা আটকা পড়ে রয়েছে। তবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রায় দিনই আলোচনা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পাথর আমদানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।জামালপুরের সহকারী কমিশনার মো. ওমর ফারুক বলেন, পাথর আমদানি চালু করতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তাঁদের মাধ্যমে জানা যায়, ভারতীয় রাস্তা নাকি খারাপ ও পরিবেশসংক্রান্ত ঝামেলায় পড়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে তাঁরা (ভারতীয়) পাথর রপ্তানি করছেন না। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় গত এক বছরের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। | 297,166 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ জুন ২০১৭, ০১:০১ | ০২ জুন ২০১৭, ০১:০৩ | রংপুর,রংপুর বিভাগ | 0 | শুধু জীববিজ্ঞানের ‘এমসিকিউ’-এ ২! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1202131 | চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থী প্রতিটি বিষয়েই নম্বর ভালো পেলেও জীববিজ্ঞানের ‘এমসিকিউ’-এ মাত্র ২ নম্বর পেয়েছে। এর ফলে পাস করতে পারেনি ওই শিক্ষার্থী। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে পৃথক দুটি আবেদন করেছেন ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক।ওই শিক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে।দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে গত ২৮ মে নন্দিতা হিরা নামের ওই শিক্ষার্থীর বাবা আলতাফ হোসেন সন্তানের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানান। এ থেকে জানা গেছে, এবারের এসএসসি (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) পরীক্ষায় রংপুরের শ্যামপুর সুগার মিলস উচ্চবিদ্যালয় থেকে নন্দিতা হিরা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয়। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়।পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর নম্বরপত্রে দেখা যায়, জীববিজ্ঞান বিষয়ের ‘এমসিকিউ’-এ নন্দিতা মাত্র ২ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু একই বিষয়ের লিখিত পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের মধ্যে ৪০ ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পুরো ২৫ নম্বরই পেয়েছে।এ ছাড়া নন্দিতা অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলায় ‘এ’, ইংরেজিতে ‘বি’, অঙ্কে ‘এ-’, শারীরিকে ‘এ+’, গ্লোবাল স্টাডিজে ‘এ’, ইসলাম ধর্মে ‘এ+’, পদার্থে ‘এ’, রসায়নে ‘এ’, আইসিটিতে ‘এ+’, কেরিয়ার স্টাডিজে ‘এ’ ও উচ্চতর গণিতে ‘এ+’ পেয়েছে।শিক্ষার্থীর বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, তাঁর মেয়ে ভালো ছাত্রী। মেয়ের নম্বরপত্র থেকেও এ বিষয়টি অনুমান করা যায়। সে বিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলোতেও প্রথম থেকে পঞ্চম স্থান অধিকার করে আসছিল। কিন্তু যে কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে ওই কেন্দ্র শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সঙ্গে নন্দিতার বাবা আলতাফ হোসেনের বিরোধ আছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই বিরোধের জের ধরেই ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার মেয়ের জীববিজ্ঞান বিষয়ের এমসিকিউতে একাধিক গোল্লা ভরাট কিংবা এমসিকিউ শিট পরিবর্তনও করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। তাই ওই এমসিকিউ শিট পুনরায় মূল্যায়নের দাবি করছি।’ তিনি আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়ের শিক্ষাজীবন যেন এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’নন্দিতা হিরা যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেই শ্যামপুর সুগার মিলস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল ফাত্তাহ মিঞা বলেন, ‘মেয়েটির ফলাফল অস্বাভাবিক। এটি কখনোই হতে পারে না। জীববিজ্ঞান বিষয়ের এমসিকিউয়ের শিট পুনর্মূল্যায়নের জন্য শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে গত ৯ মে আবেদনও করেছি।’এদিকে ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রসচিব মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি আবেদন পেয়েছি।’ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। | 321,039 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫২ | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১০ | -1 | 0 | ইঁদুরনিধন অভিযান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1000785 | ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ইঁদুর প্রতিবছর দেশের ৭৩০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি করে। ইঁদুর মারতে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। তা না হলে ইঁদুরের উপদ্রব কমানো সম্ভব নয়। ইঁদুরের দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন পাহাড়ের জুমচাষিরা। গতকাল শনিবার রাঙামাটি জেলায় ইঁদুরনিধন অভিযান ২০১৬ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান কৃষিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম হারুন-অর রশিদ, রাঙামাটি উপপরিচালক রমণী কান্তি চাকমা প্রমুখ। রাঙামাটি অফিস | 256,435 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ আগস্ট ২০১৪, ২২:২৬ | ১৬ আগস্ট ২০১৪, ২২:৩২ | রাজনীতি | null | টক শোতে আইভীর সঙ্গে শামীমের আচরণ অশালীন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/292546 | টক শোতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎআইভীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের আচরণকে অসৌজন্যমূলক, অশালীন ও ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ৬০ জন নাগরিক। গত মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আয়োজনে ওই টক শোতে অংশ নিয়েছিলেন মেয়র আইভী ও সাংসদ শামীম ওসমান।আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নাগরিকেরা বলেন, মেয়র আইভী যখন নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ড ও সাত খুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন, তখন সাংসদ শামীম টক শোতে তাঁর (আইভী) ব্যক্তিগত চরিত্র এবং পরিবার নিয়ে অশালীন ও কাল্পনিক মন্তব্য করে হত্যাকাণ্ডগুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিবৃতিদাতারা এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সাংসদ শামীমের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বর্বর আচরণের জবাব জনগণ একদিন অবশ্যই দেবে। ইতিহাসের দায় থেকে তিনি কখনোই মুক্তি পাবেন না।বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের জহিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির আবদুর রহমান, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের রফিউর রাব্বি, অনন্য সাংস্কৃতিক একাডেমির পল্লবী প্রত্যাশা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির হাফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের বিমল কান্তি দাস, ওয়ার্কার্স পার্টির হিমাংশু সাহা, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নিজাম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা নাট্য সংস্থার সানোয়ার তালুকদার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের নিখিল দাস প্রমুখ। | 85,359 |
নীলফামারী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জুন ২০১৫, ০১:১০ | ২৬ জুন ২০১৫, ০১:১১ | নীলফামারী,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ডোমারে সোলার প্যানেল বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/562612 | সৌরবিদ্যুতের সেবা প্রদানে টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২০টি সোলার প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার তাঁর (সাংসদ হিসেবে পাওয়া) বরাদ্দ থেকে এগুলো বিতরণ করেন। এসব সোলার প্যানেল বিতরণ উপলক্ষে গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ নিজে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এনামুল হক, ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বসুনিয়া প্রমুখ। | 148,136 |
তপতী বর্মন | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:০৬ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:০৭ | পরিবেশ,দর্শনীয় স্থান | 0 | যেখানে পাথর ঘিরে ঘুরছে জীবন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1416001 | জাফলং। নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্বচ্ছ পানির পিয়াইন নদ। তীরে বিছানো নানা আকারের পাথর। আর সীমান্ত ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতের মেঘালয়ের বড় বড় সবুজ পাহাড়। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেখানে, সেখানে পর্যটকদের ভিড় খুবই স্বাভাবিক। সিলেট থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে তাই ছুটে যান অনেক পর্যটক।জাফলংয়ে পৌঁছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি একটা জিনিসের উপস্থিতি দেখা যায় চারপাশে। সেটা হলো পাথর। হঠাৎ করে মনে হতে পারে, পাথরের রাজ্যে চলে এলাম নাকি!এমন ভাবনা খুব একটা ভুল নয়। জাফলংয়ে নেমেই চোখে পড়ে নানা আকৃতির পাথর স্তূপ করে এদিক-সেদিক রেখে দেওয়া। পাশে পাথর ভাঙার যন্ত্র। বিকট শব্দে যন্ত্রগুলোতে পাথর ভাঙা চলছে। মনে হয়, শান্ত প্রকৃতির মধ্যে যেন দানবের চিৎকার চলছে। এখানেই শেষ নয়। ভাঙা পাথরগুলো চাহিদা অনুযায়ী বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে ক্রমাগত ছুটে চলছে বহু ট্রাক।ভেঁপু, হাঁকডাক, চিৎকার আর কোলাহল কাটিয়ে সামনে গেলেও পাথর আর পাথর। শীতকাল বলে পিয়াইন নদের পানি এখন বেশ কম। তাই এর আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে পাথর তোলার কাজ। নারী-পুরুষ-শিশু সবাই মিলে এ কাজ করছে। কাজের ফাঁকে এখানেই গোসল সেরে নিচ্ছে কেউ কেউ। নদীর পাশে পাথরের গায়ে শুকাতে দিয়েছে ভেজা কাপড়গুলো। আবার কেউ কেউ দুপুরের খাবারটা খেয়ে পাথরে মাথা রেখে জিরিয়ে নিচ্ছে।নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানোর সময় আশপাশের শ্রমজীবীদের যেসব কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে, পুরোটাই পাথরকে ঘিরে। নৌকাভ্রমণ শেষে ফিরে যাচ্ছে পর্যটকের দল। পর্যটক দলে থাকা এক শিশুর কথায় কানটা খাড়া হয়ে গেল। নাম না জানা শিশুটি তার বাবার কাছে প্রশ্ন করল, ‘বাবা, এখানে যারা কাজ করছে, তারা কি সবাই স্টোনম্যান?’ বাবা কোনো উত্তর দিলেন না। ছেলে তখন আবার প্রশ্ন করল, ‘আচ্ছা বাবা, এখানে কত পাথর আছে? এভাবে পাথর তুলতে তুলতে যদি একদিন সব পাথর শেষ হয়ে যায়, তখন ওরা কী করবে?’বাবা কী উত্তর দিয়েছিলেন, সেটা শোনা হয়নি। তবে ছোট শিশুটি নির্মম সত্য কথা বলেছে। আসলেই এসব শ্রমজীবী মানুষের জীবন পাথরকে ঘিরে। পাথরের পাহাড়ে ছোট ছোট ঘিঞ্জি ঘরে তাদের বাস, সকালে উঠে পাথর তোলার কাজ শুরু, এখানেই গোসল-খাওয়া-বিশ্রাম, সন্ধ্যায় কাজ শেষে আবার পাথরের পাহাড়ের ছোট ঘরে ফিরে যাওয়া।পর্যটক যে চোখে পাথরে ঘেরা এই স্থানের সৌন্দর্য দেখেন; তা দেখতে পারেন না হোসেন, করিম, ঝুমুসহ এখানকার শ্রমজীবীরা। তাঁদের কাছে জীবন মানেই এই পাথর। যত বেশি পাথর তুলতে পারবেন, তত বেশি মজুরি, আর একটু ভালো থাকার সম্ভাবনা। | 352,604 |
কূটনৈতিক প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৬ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৮ | খবর,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | গোলটেবিল বৈঠকে সংলাপে বসার তাগিদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/428062 | ফরাসির গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফ্রেডারিক গ্রের বলেছেন, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান অরাজনৈতিক হলে তা নতুন সমস্যার জন্ম দেবে। গণতন্ত্রকে টেকসই করতে সব রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।গতকাল রোববার রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের দক্ষিণ এশিয়া কর্মসূচির পরিচালক ফ্রেডারিক গ্রের এসব কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিপস) আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্র ও সুশাসন পরিস্থিতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।সাবেক ফরাসি কূটনীতিক ফ্রেডারিক গ্রের তাঁর উপস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও সন্ত্রাসবাদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। গণতন্ত্রকে তিনি নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখার পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান বাঞ্ছনীয়। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান অরাজনৈতিক হলে তা নতুন সমস্যার জন্ম দেবে।প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে সরাসরি মন্তব্য করতে ফ্রেডারিক গ্রের অপারগতা প্রকাশ করেন। গোলটেবিলবৈঠকের পর এ প্রতিবেদকসহ তিন গণমাধ্যম কর্মীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে আমি ভালোভাবে জানি না। তাই কাজের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে সপ্তাহ খানেকের সফরে এসেছি।তিনি বলেন, শুধু এ দেশ বলেই নয়, এ ধরনের (বাংলাদেশের মতো) সমস্যার ক্ষেত্রে সবগুলো রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা উচিত। এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে হবে নির্বাচনে জয়লাভের পর বিজয়ী পক্ষ পরাজিত পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। আর পরাজিত পক্ষকেও শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে বিজয়ী পক্ষের ব্যাপারে। | 108,002 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:৫৭ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:২৪ | সরকার | 0 | শপথ নিলেন আইভী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1053303 | নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আজ বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন সেখানকার নির্বাচিত কাউন্সিলররাও। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টায় এই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শপথবাক্য পাঠ করান। কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।গত ২২ ডিসেম্বর ভোট শেষে নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানাসহ ২৮ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপরই স্থানীয় সরকার বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শপথ আয়োজনে স্থানীয় সরকারসচিব আবদুল মালেক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ সংক্রান্ত আমন্ত্রণপত্রও পাঠান।এই নির্বাচনে একজন মেয়রের সঙ্গে ২৭ সাধারণ কাউন্সিলর ও নয়জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের দুই সপ্তাহের মাথায় শপথ নিচ্ছেন তাঁরা।স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন নির্বাচিত সব কাউন্সিলরকে শপথবাক্য পাঠ করান। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেকের পরিচালনায় শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেয়র ও কাউন্সিলররা ছবি তোলায় অংশ নেন।আইভী ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র নির্বাচিত হন। খবর বাসসের। | 280,281 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | life-style | জীবনযাপন | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:২৭ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৩২ | বিয়ে,বিয়ের সাজ,বিয়ের কেনাকাটা,বিয়ের প্রস্তুতি | 0 | বর্ণিল বিয়ে উৎসবে... | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1390886 | চারদিকে বিয়ে বাড়ির সাজ। কোথাও চলছে মেহেদি দিয়ে হাত রাঙানোর ধুম। কেউ পালকিতে চড়ে কনের ভূমিকায় নিজেকে দেখতে চাচ্ছেন—কেমন মানায়। এরই মধ্যে চলছে ক্যামেরার ক্লিক। এভাবেই দর্শকের পদচারণে জমে উঠেছে সানসিল্ক নকশা বিয়ে উৎসব।ইউনিলিভারের ব্র্যান্ড ‘সানসিল্ক’ ও প্রথম আলোর মঙ্গলবারের ক্রোড়পত্র ‘নকশা’র আয়োজনে চতুর্থবারের মতো হচ্ছে এ উৎসব। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ওয়েসিস মাঠে এ আয়োজন চলছে। ‘বিয়ের বাজার দেশেই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে আজ রাত নয়টা পর্যন্ত। চ্যানেল আই এই উৎসবের সম্প্রচার সহযোগী।লিপিকা সরকার নামের এক নারী উৎসবে এসে সানসিল্কের স্টল থেকে চুল বেঁধে নিয়েছেন। শখের বশে ছবিও তুলেছেন। তিনি বলেন, এখানে এসে যে ধারণা পেয়েছেন, তা কাছের লোকদের বিয়ের আয়োজনে কাজে লাগবে।সানসিল্কের স্টল থেকে চেহারার সঙ্গে মিল রেখে চুল বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ছবি তোলারও ব্যবস্থা আছে। এসব বিনা মূল্যে। উৎসবে থাকা পারসোনার স্টলে বেশ ভিড়। এখানেও বিনা মূল্যে মেহেদি পরার ব্যবস্থা আছে। প্রায় সব স্টলেই আছে বিভিন্ন ছাড়। বিয়ের মৌসুম হওয়ায় অনেকেই ছাড়ের সুযোগ নিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী বুকিং দিচ্ছেন।আগামী মাসে বিয়ে রিয়াদ নামের এক তরুণের। তাই খুঁটিনাটি সব জানতেই তিনি এ উৎসবে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে কিছু অর্ডার করব কি না শিওর না। তবে ঘুরে ভালো আইডিয়া পেলাম। বিয়ের বাজেট করতে সুবিধা হবে।’ছেলেকে নিয়ে ঘুরছিলেন সন্তোষ দাশ গুপ্ত। হাতে বিভিন্ন স্টল থেকে পাওয়া প্রচারপত্র। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অনেকেই জানতে চান কোথায় কী পাওয়া যায়। এ প্রোগ্রাম থেকে ধারণা নিচ্ছি। আর আমাদের দেশে ধনীরা জানেন না যে দেশের ভেতরে বিয়ের এত বড় বাজার আছে।’আজ দুপুরের দিকে বিয়ে উৎসবের মঞ্চে চলছিল চৈতি সংগীত দলের গীত পরিবেশনা। ঘুরে দেখার পাশাপাশি কেউ কেউ মঞ্চের কাছে বসে গান শুনছিলেন। আয়েশা রহমান নামের একজন দর্শনার্থী গান নিয়ে বলেন, ‘এখন তো বিয়ে মানেই বিদেশি গান। আমাদের দেশেও যে বিয়ের সুন্দর সুন্দর গান আছে তা জানা ছিল না।’উৎসব থেকেই বিশেষজ্ঞদের কাছে থেকে দর্শনার্থীরা জানতে পারছেন বিয়ের সাজ, ছবি তোলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরামর্শ। উৎসবের এক কোনায় রাখা পালকি ঘিরে বেশ জটলা। সেখানে কনের সাজে একজন মডেল পালকিতে চড়েছেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মঞ্চের দিকে। প্রতীকী এই বউকে একনজর দেখার আগ্রহ কম ছিল না দর্শনার্থীদের। বিয়ে উৎসবের মেলায় এবার অংশ নিয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, পারসোনা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ড্রিম উইভার, লুবনান, রিগ্যাল ফার্নিচার, অরা বিউটি লাউঞ্জ, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, দ্য রেমন্ড শপ, রস মিষ্টি, ডিবিএল গ্রুপ, রেড বিউটি পারলার অ্যান্ড স্পা, লাভেলো আইসক্রিম, পিন পয়েন্ট, স্বাদ পিঠা ঘর, হোয়াইট স্যান্ড রিসোর্ট, শারিন, ইগো ভিশন, বানী’স ক্রিয়েশন, ম্যারেজ সলিউশন বিডি, বিআরবি হসপিটাল লিমিটেড, প্রিমিয়ার ক্যাটারিং, মমতাজ হারবাল প্রোডাক্টস, প্রচিত হলিডেজ, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির লিমিটেড, নিজল ক্রিয়েটিভ ফটোগ্রাফি, ড্রেসিডেল, কনক দ্য জুয়েলারি, দেশীদশ, ভিগো কালেকশন, ওরিয়ন গ্রুপ ও প্রথমা প্রকাশন। | 348,560 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৫৩ | ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ১২:০৯ | ক্রিকেট | null | হেরেও রেকর্ড কোহলির | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1358826 | সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচটায় জিততেই হতো নিউজিল্যান্ডকে। কলিন মানরোর দারুণ এক সেঞ্চুরিতে সেই কাজটা ভালোভাবেই সেরেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। ১৯৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিরাট কোহলির ব্যাটেই ভরসা রেখেছিল ভারত। তবে এ যাত্রা দলকে জেতাতে না পারলেও রেকর্ড বইয়ে ঠিকই হানা দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।গতকালের ম্যাচে ৪২ বলে ৬৫ করেছেন কোহলি। এই ইনিংস দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছেন কোহলি। ৫০ ইনিংসে ১ হাজার ৯৪৩ রান করেছেন কোহলি, টপকে গিয়েছেন ১ হাজার ৮৮৯ রান করা শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশানকে। এই রান করতে দিলশানের প্রয়োজন হয়েছিল ৮০ ম্যাচ। ৭১ ম্যাচে ২ হাজার ১৪০ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০ বাউন্ডারি (চার) মেরেছেন এই ডানহাতি। তালিকার প্রথম দুজন হলেন দিলশান ও আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ। গতকালের ফিফটির বদৌলতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৭ হাজার রানও পূর্ণ হলো কোহলির। এই রান করতে ২১২টি ইনিংস লেগেছে তাঁর। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ৭ হাজার রান আছে কেবল ক্রিস গেইলের। এ জন্য ১৯২টি ইনিংস খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার।নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেই দ্রুততম সময়ে ৯ হাজার রান করার কীর্তি গড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। এই বছরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২ হাজার রান করলেন কোহলি। পরপর দুই বছর ২ হাজার আন্তর্জাতিক রান করা দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান এখন কোহলি। প্রথমজনের নামটা অনুমান করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়; কোহলিকে যাঁর উত্তরসূরি ভাবা হয়, সেই শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। সূত্র: জি নিউজ।আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে শীর্ষ ৫ রান সংগ্রাহক রানম্যাচগড়সর্বোচ্চব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড)২১৪০৭১৩৫.৬৭১২৩বিরাট কোহলি (ভারত)১৮৯২৫৪৫৪.০৬৯০*তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)১৮৮৯৮০২৮.১৯১০৪*মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড)১৮৫৫৬৩৩৪.৩৫১০১*শোয়েব মালিক (পাকিস্তান)১৮২১৯২২৯.৩৭৭৫ | 343,571 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৩৩ | ০১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৩৪ | ভারত | 0 | ভূমিধসে নিহত ১৬ | http://www.prothom-alo.com/international/article/491692 | ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে বন্যার কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে ১৬ জন নিহত হয়েছে। কাশ্মীরের ছাদোরা শহরে ওই ভূমিধস ঘটে। মাটির নিচ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিধসের ঘটনার পর এলাকা থেকে ২০০ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ফায়েজ আহমেদ বলেন, ভূমিধসে চাপা পড়া দুটি ঘর থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিচু এলাকায় যাদের বাড়ি তাদের উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির পর ঝিলাম নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিবিসি | 127,656 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৭ আগস্ট ২০১৩, ০১:১৬ | ২৭ আগস্ট ২০১৩, ০১:২১ | বিনোদন,বিদেশের গান | 0 | গায়ক যখন ক্রিস গেইল | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/42304 | গ্যাংনাম স্টাইলে নেচে নিজের নৃত্য-প্রতিভা দেখিয়েছেন ক্রিস গেইল। এবার পালা সংগীত-প্রতিভার জানান দেওয়া। সেটার সুযোগও পেলেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার। এই মাসের শেষ দিকে ভারতে মুক্তি পাচ্ছে একটি নতুন বিজ্ঞাপনচিত্র। আর সেখানে হিন্দি গান ‘হাম্মা হাম্মা’ গেয়েছেন এই ক্রিকেটার। বিজ্ঞাপনচিত্রটির শুটিং অবশ্য গত মে মাসেই করে গেছেন গেইল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময় হয়েছিল শুটিং। ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনচিত্রটি পরিচালনা করেছেন উজার খান। টিএনএন। | 12,245 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ আগস্ট ২০১৩, ০২:০৬ | ০৮ আগস্ট ২০১৩, ০২:০৭ | -1 | 0 | বিকল্প ছাপাখানায় আমার দেশ ছাপতে বাধা কেন অবৈধ নয় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/36724 | বিকল্প ছাপাখানায় সাময়িকভাবে আমার দেশ পত্রিকা ছাপতে বাধা দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল দেন।স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকার নির্বাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রমনা ও তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে আল-ফালাহ প্রেস থেকে সাময়িক সময়ের জন্য পত্রিকাটি ছাপানোর নির্দেশনা চেয়ে আমার দেশ পাবলিকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজা মাহমুদ গত ২৫ মে রিট আবেদনটি করেছিলেন।গতকাল রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সালেহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।মো. সালেহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ১১ এপ্রিল পুলিশ আমার দেশ-এর প্রেস বন্ধ করে দেয়। পরে ১২ ও ১৩ এপ্রিল আল-ফালাহ প্রেস থেকে পত্রিকাটি ছাপা হয়। এটা পত্রিকায় উল্লেখ ছিল। ১৩ এপ্রিল রাতে সেখানে পত্রিকা ছাপার সময় পুলিশ অভিযান চালায় এবং প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রকাশনা ও ছাপাখানা আইনের ১০ ধারা অনুসারে বিকল্প প্রেস থেকে পত্রিকা ছাপানোর সুযোগ আছে। এ ছাড়া ছাপানো শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানানো হয়। | 8,293 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২০ মার্চ ২০১৮, ১৬:০২ | ২০ মার্চ ২০১৮, ১৮:৫১ | ভ্লাদিমির পুতিন,ইউরোপ,রাশিয়া | null | পুতিন কেন এত জনপ্রিয়? | http://www.prothom-alo.com/international/article/1453796 | রাশিয়ার সদ্য শেষ হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১২ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবার বেশি ভোটে জয়ী হন পুতিন। শেষবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন পেয়েছিলেন ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ রাশিয়ায় পুতিনের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে যে বেড়েছে, তা আমরা বলতেই পারি। কিন্তু রাশিয়ায় পুতিনের কেন একচেটিয়া জনপ্রিয়তা?রুশ গণমাধ্যম স্পুতনিক রেডিও এ বিষয়ে কথা বলেছে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রাশিয়ান অ্যান্ড এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক অনুরাধা চেনোইয়ের সঙ্গে। স্পুতনিক নিউজ ডট কমে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ দেওয়া হলো।স্পুতনিক : মূলধারার গণমাধ্যমে থেকে আমরা অনেক অভিযোগ শুনতে পাচ্ছি যে নির্বাচন স্বচ্ছ ছিল না। আপনি কি তাই মনে করেন? চেনোই : নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব ছিল, আমি তা মনে করছি না। এ বিষয়ে মন্তব্য করার আগে রাশিয়ায় যেভাবে রাজনীতির চর্চা গড়ে উঠেছে, তা জানতে হবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়া স্বাধীন হলেও সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দুর্বলই রয়ে গেছে।যেখানে গণতন্ত্রচর্চা হয়, সাধারণত সেখানে অনেক শক্তিশালী বহু দলগত পদ্ধতি থাকে, কিন্তু রাশিয়ার ক্ষেত্রে আমরা তা দেখতে পাইনি। প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তাঁর দল অন্যদের ওপর একচেটিয়া প্রভাব রেখেছে। তবে ভালো হতো যদি রাশিয়ায় আরও শক্তিশালী রাজনৈতিক দল থাকত, কিন্তু এর জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। গণতন্ত্র বিকশিত হতে সময় দরকার। তাই আমি মনে করি না যে এ কারণে রাশিয়াকে বা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কেউ দোষ দিতে পারে।স্পুতনিক : রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের সঙ্গে কেন বৈশিষ্ট্যগত এত ফারাক রয়েছে বলে আপনি মনে করেন? চেনোই : অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে, কিন্তু গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সত্যিই বণ্টন করা প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া উচিত এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় একধরনের আস্থা থাকা উচিত। সবকিছু নিয়ে দোষ দেওয়ার মনোভাব থাকা ঠিক নয়। তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট করা উচিত। তরুণদের পথ দেখানো উচিত এবং সৃজনশীলতা রক্ষা করে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক বৃদ্ধি করা উচিত।আমি মনে করি, এ দেশে একটা রাজনৈতিক বিতর্ক অবশ্যই রয়েছে। তবে ক্যাডার, সংগঠন, শক্তি ও অর্থের সমন্বয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কাঠামোগতভাবে এখনো সংগঠিত হয়নি।বর্তমানে রাশিয়াসহ সব দেশই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই অনেক দেশের মানুষই সে দেশে একজন শক্তিশালী ও জনপ্রিয় নেতা চাইছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবেই মনে করি, রাশিয়া ভাগ্যবান এই অর্থে, সে দেশের মানুষের প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতো একজন চৌকস নেতা রয়েছে।পুতিন রাশিয়াকে স্থিতিশীল করেছেন, তিনি রাশিয়াকে রাষ্ট্র হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। এ কারণেই তিনি রাশিয়ায় এতটা জনপ্রিয়। আমি তাঁকে একজন জনপ্রিয় নেতা বলে মনে করি।আমি মনে করি, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে পুতিন তাঁর কথা রাখতে পেরেছেন। যদিও এ নিয়ে রুশ সমাজে ভিন্নমত রয়েছে। তবে অর্থনৈতিক নীতিমালা এবং সিরিয়া ও ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে পুতিনের অবস্থান সম্পর্কে তিনি নিজেই বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন; যা ছিল ন্যায্য এবং রুশ নাগরিকেরা অবশ্যই তাঁকে সমর্থন করেছেন। রুশ থেকে অনুবাদ : জামিল খান | 358,457 |
মোহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহ | education | শিক্ষা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৩৬ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৩৮ | পড়াশোনা | 0 | সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/457459 | বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্রের অধ্যায়-১০ থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।১। কোনটি বিচ্যুতি?ক. চুরি করা খ. মাদক গ্রহণগ. রাষ্ট্রের আইন না মানাঘ. বড়দের সম্মান না করা২। অপরাধের জৈবিক ব্যাখ্যা দেন?ক. গিলিন খ. মার্টনগ. লমব্রোসো ঘ. মার্ক্স৩। বিচ্যুতিমূলক আচরণের জন্য দায়ী কোনটি?i. ত্রুটিপূর্ণ সামাজিকীকরণii. সামাজিক নিয়ম কানুনের শিথিলতাiii. সামাজিক পরিবেশনিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. ii ও iiiগ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii৪। Anomie বা মূল্যবোধহীনতার তত্ত্ব প্রদান করেন কে?ক. কার্ল মার্ক্স খ. ডুর্খেইমগ. মার্টন ঘ. স্পেন্সার৫। ডুর্খেইম অ্যানোমিকে কয় ভাগে ভাগ করেন?ক. দুই খ. তিন গ. চার ঘ. পাঁচ৬। সমাজে যখন লক্ষ্য অর্জন করার উপায় থাকে না, তখন মানুষ বিচ্যুত আচরণ করে। এটি কার মত?ক. কার্ল মার্ক্স খ. ডুর্খেইমগ. মার্টন ঘ. স্পেন্সার৭। অপরাধবিজ্ঞানী বার্নস অপরাধকে কয় শ্রেণিতে ভাগ করেন?ক. দুই খ. তিন গ. চার ঘ. পাঁচ৮। হরতাল, ধর্মঘট প্রভৃতির কারণে সমাজে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পায়। এটি অপরাধের কোন ধরনের কারণ?ক. সামাজিক খ. অর্থনৈতিকগ. রাজনৈতিক ঘ. মনস্তাত্ত্বিক৯। সীমান্ত এলাকায় বাড়ি হওয়ায় সালাম মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। সালামের অপরাধের কারণ মূলত—ক. ভৌগোলিক খ. অর্থনৈতিকগ. রাজনৈতিক ঘ. মনস্তাত্ত্বিক১০। আমাদের মতো সমাজে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে কোনটি?i. ধর্মii. আইনের সঠিক প্রয়োগiii. নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থানিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. ii ও iiiগ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii.সঠিক উত্তরটি মিলিয়ে নাও১. ঘ ২. গ ৩. ঘ ৪. খ ৫. ক ৬. গ ৭. খ ৮. গ ৯. ক ১০. ঘ।প্রভাষকএনায়েতবাজার মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম | 117,350 |
এএফপি | international | আন্তর্জাতিক | ০৬ জুন ২০১৬, ০০:০৯ | ০৬ জুন ২০১৬, ০০:০৯ | লাতিন আমেরিকা | null | আর কখনোই ওএএসে ফিরবে না কিউবা | http://www.prothom-alo.com/international/article/879166 | কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো বলেছেন, তাঁর দেশ আর কোনো দিনই আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসে (ওএএস) ফিরে যাবে না।যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সংগঠনটির মহাসচিব লুইস আলমার্গো সম্প্রতি কিউবার ঘনিষ্ঠ মিত্র ভেনেজুয়েলার সদস্যপদ স্থগিত করা ও দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ভেনেজুয়েলার ক্ষমতাসীন নিকোলা মাদুরোর সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রাউল কাস্ত্রো এ ঘোষণা দেন।ক্যারিবীয় দ্বীপদেশ কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৬২ সালে ওএএস দেশটিকে জোট থেকে বহিষ্কার করে। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি ওয়াশিংটনের সঙ্গে হাভানার সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় বড় অগ্রগতির পর অনেকেই বলছেন, কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে থাকা সংগঠনটিতে আবার যোগ দিতে পারে। কিন্তু রাউল তার সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিলেন।হাভানায় অনুষ্ঠিত ক্যারিবীয় দেশগুলোর এক শীর্ষ সম্মেলনে রাউল কাস্ত্রো ওএএসকে ‘সাম্রাজ্যবাদীদের আধিপত্যের হাতিয়ার’ বলে আখ্যায়িত করেন।ভেনেজুয়েলার ক্ষমতাসীন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে কাস্ত্রো বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার ভাইদের প্রতি, তথা নিকোলা মাদুরোর বৈধ সরকারের প্রতি আমাদের দৃঢ় সমর্থন থাকবে।’সম্প্রতি ভেনেজুয়েলায় সরকারবিরোধী আন্দোলন বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওএএস-প্রধান বলেন, সংগঠনটির সনদ অনুসারে ভেনেজুয়েলার সদস্যপদ স্থগিত করা উচিত। | 229,754 |
খন্দকার আতিক | education | শিক্ষা | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, ০০:১০ | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, ০০:২০ | পড়াশোনা | 0 | ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা | http://www.prothom-alo.com/education/article/693301 | পড়াশোনা পাতার প্রতিটি লেখা জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীর (NAPE) চূড়ান্ত প্রশ্নকাঠামো অনুসারে সাজানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বিশেষ প্রস্তুতি ছাপা হবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত।সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরপ্রিয় পরীক্ষার্থী, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ২ নম্বর প্রশ্ন থাকবে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।প্রশ্ন: ইমান শব্দের অর্থ কী?উত্তর: ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস স্থাপন, স্বীকৃতি দেওয়া, মেনে নেওয়া ইত্যাদি।প্রশ্ন: সারা বিশ্বের পালনকর্তা কে?উত্তর: সারা বিশ্বের পালনকর্তা আল্লাহ তায়ালা। তিনি বিশ্বজগতের অধিপতি বা মালিক। তিনি একক ও অদ্বিতীয় সত্তা।প্রশ্ন: আমাদের দীনের নাম কী?উত্তর: আমাদের দীনের নাম ইসলাম। ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানবজীবনের সব বিষয় ও সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধানের দিকনির্দেশনা এতে রয়েছে।প্রশ্ন: আমরা কী বলে আল্লাহর শোকর আদায় করব?উত্তর: আমরা ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’ বলে আল্লাহর শোকর আদায় করব।প্রশ্ন: আখিরাত মানে কী?উত্তর: আখিরাত আরবি শব্দ। আখিরাত মানে পরকাল। মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আখিরাত বলা হয়।প্রশ্ন: আকাইদ বলতে কী বোঝ?উত্তর: ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো অর্থাত্ আল্লাহ তায়ালা, নবি-রাসুল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকাল, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদির প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকেই আকাইদ বলা হয়।প্রশ্ন: নবি-রাসুলগণের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য কী ছিল?উত্তর: মানুষের জীবন মঙ্গলময় করা ও মানুষের কল্যাণ সাধন করা ছিল নবি-রাসুলগণের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।প্রশ্ন: শ্বাস নেওয়ার সময় আমরা কোনটি গ্রহণ করি?উত্তর: শ্বাস নেওয়ার সময় আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি।প্রশ্ন: কে নবি-রাসুলগণের কাছে ওহি নিয়ে আসতেন?উত্তর: হযরত জিবরাইল (আ.) নবি-রাসুলগণের কাছে ওহি নিয়ে আসতেন।প্রশ্ন: ইবাদত কাকে বলে?উত্তর: ইবাদত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো আনুগত্য, দাসত্ব, বন্দেগি ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ-কর্মে আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয়।প্রশ্ন: আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?উত্তর: আমরা আল্লাহর বান্দা। তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা আমাদের অবশ্যকর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে পবিত্র আল-কুরআনে বলেছেন, ‘জিন ও মানব জাতিকে আমি (আল্লাহ) আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।’প্রশ্ন: ইসলামের রুকন কয়টি ও কী কী?উত্তর: ইসলাম আল্লাহ তায়ালা মনোনীত একমাত্র জীবনব্যবস্থা। ইসলামের রুকন পাঁচটি। যথা: ১. ইমান আনা, ২. সালাত আদায় করা, ৩. যাকাত প্রদান করা, ৪. হজ পালন করা ও ৫. রমজানের সাওম পালন করা।প্রশ্ন: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম লেখো।উত্তর: সালাত একটি মৌলিক ও ফরজ ইবাদত। এটি ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম হলো ১. ফজর, ২. জোহর, ৩. আসর, ৪. মাগরিব ও ৫. এশা।প্রশ্ন: সালাতের নিষিদ্ধ সময়গুলো কী কী?উত্তর: দিনের সব সময় সালাত আদায় করা যায় না। সালাত আদায়ে কতিপয় নিষিদ্ধ সময় রয়েছে। সালাতের নিষিদ্ধ সময় হলো: ১. ঠিক সূর্যোদয়ের সময়, ২. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় ও ৩. সূর্যাস্তের সময়।প্রশ্ন: মুসাফির কাকে বলে?উত্তর: মুসাফির আরবি শব্দ। এর অর্থ সফরকারী বা ভ্রমণকারী। কোনো ব্যক্তি তিন দিনের রাস্তা বা কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরে গমনের নিয়ত করে বাড়ি থেকে বের হলে তাকে মুসাফির বলে।প্রশ্ন: আহকাম কাকে বলে?উত্তর: সালাতের প্রস্তুতিমূলক কিছু কাজ রয়েছে। সালাতের এসব কাজ বা সালাত শুরু করার আগে যে ফরজ কাজগুলো আছে, সেগুলোকে সালাতের আহকাম বা শর্ত বলে।প্রশ্ন: আরকান কাকে বলে?উত্তর: সালাত আদায়কালে আমরা কিছু ফরজ পালন করি। সালাতের ভেতরে যে ফরজ কাজগুলো আছে সেগুলোকে সালাতের আরকান বলে।প্রশ্ন: সাওম কাকে বলে?উত্তর: সাওম আরবি শব্দ। এর অর্থ বিরত থাকা বা আত্মসংযম। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলে।প্রশ্ন: সাওমের মাসকে ফজিলতের দিক দিয়ে কয় ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে?উত্তর: সাওমের মাসকে ফজিলতের দিক দিয়ে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. এ মাসের প্রথম দশ দিন রহমত লাভের সময়. ২. দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত লাভের সময় এবং ৩. শেষ অংশে নাজাত বা মুক্তিলাভের সময়। যারা যথানিয়মে সাওম পালন করবে তারা এ ফজিলত লাভ করবে।প্রশ্ন: যাকাত কাকে বলে?উত্তর: যাকাত শব্দের অর্থ পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা ও শুদ্ধ। মুসলমানদের নিসাব পরিমাণ ধনসম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ বছরপূর্তিতে আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত খাতসমূহে ব্যয় করাকে যাকাত বলে।প্রশ্ন: হজ কাকে বলে?উত্তর: আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ অবস্থায়, নির্দিষ্ট স্থানে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট কতগুলো অনুষ্ঠান পালন করাকে হজ বলে।প্রশ্ন: হজের ফরজ কয়টি ও কী কী?উত্তর: হজ একটি মৌলিক ফরজ ইবাদত। হজের ফরজ তিনটি। যথা: ১. ইহরাম বাঁধা, ২. আরাফাতে অবস্থান করা এবং ৩. তওয়াফে জিয়ারত।প্রশ্ন: কুরবানি কাকে বলে?উত্তর: আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গৃহপালিত হালাল পশু আল্লাহর নামে উত্সর্গ করাকে কুরবানি বলে।প্রশ্ন: আকিকা কাকে বলে?উত্তর: আকিকা শব্দের অর্থ ভাঙা বা কেটে ফেলা। সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে সন্তানের কল্যাণ ও হিফাজতের কামনায় আল্লাহর ওয়াস্তে কুরবানির মতো কোনো গৃহপালিত হালাল পশু জবাই করাকে আকিকা বলে।প্রশ্ন: যাকাত প্রদানের মূল উদ্দেশ্য কোনটি?উত্তর: যাকাত প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো গরিবদের অবস্থার পরিবর্তন করা।প্রশ্ন: আমরা সৃষ্টির সেবা করব কেন?উত্তর: মানুষ ব্যতীত আল্লাহ সবই মানুষের উপকার ও কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এগুলোর সেবা, বিনা প্রয়োজনে নষ্ট না করা, কেউ ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাদ্য দিতে হবে। তাহলে আল্লাহপাক আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।প্রশ্ন: মহানবি (সা.) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে কী বলেছেন?উত্তর: মহানবি (সা) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’প্রশ্ন: ‘সৃষ্টির সেবা’ কাকে বলে?উত্তর: আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখি, চাঁদ-সূর্য, নদীনালা, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ইত্যাদি। মানুষ আল্লাহর এসব সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখাবে, সহানুভূতি প্রদর্শন করবে। এরই নাম সৃষ্টির সেবা।প্রশ্ন: মহানবি (সা.) মক্কাবাসীকে কিসের আহ্বান জানিয়েছিলেন?উত্তর: মহানবি (সা.) মক্কাবাসীকে সত্য ও ন্যায়পথে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।প্রশ্ন: ক্ষমাশীল ব্যক্তি কে?উত্তর: যার মন উদার, মানুষের জন্য যার দয়ামায়া বেশি, যে রাগ দমন করতে পারে—সেই ব্যক্তি ক্ষমাশীল হয়।প্রশ্ন: যার মধ্যে সততা আছে তাকে কী বলে?উত্তর: যার মধ্যে সততা আছে তাকে সত্ ব্যক্তি বলা হয়।প্রশ্ন: আমরা পিতামাতার সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করব?উত্তর: আমরা পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করব। তাঁদের আদেশ-নিষেধ শুনব এবং মেনে চলব। তাঁদের সম্মান দেখাব। তাঁদের সেবা-যত্ন করব। চিকিত্সার সুব্যবস্থা করব। তাঁরা যাতে সুখে-শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখব।প্রশ্ন: আমরা পিতামাতার জন্য কী বলে দোয়া করব?উত্তর: আমরা পিতামাতার জন্য দোয়া করব, ‘হে আমার প্রতিপালক! পিতামাতা আমাকে যেমন শৈশবে স্নেহ-যত্নে লালনপালন করেছেন, আপনি তাঁদের প্রতি ঠিক তেমনি দয়া করুন।’প্রশ্ন: আমরা বাসার কাজের লোকদের সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করব?উত্তর: আমরা বাসার কাজের লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব। সম্মান করব। মর্যাদা দেব, নিজেরা যা খাব তাদেরও তা-ই খেতে দেব। তাদের কাজে সাহায্য করব। তাদের কোনো কষ্ট দেব না। তাদের কাজের ও শ্রমের মর্যাদা দেব।প্রশ্ন: মহানবি (সা.) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী বলেছেন?উত্তর: মহানবি (সা.) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে বলেছেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’প্রশ্ন: মানবজাতির আদি পিতা ও আদি মাতা কে ছিলেন?উত্তর: মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এবং আদি মাতা ছিলেন হযরত হাওয়া (আ.)।প্রশ্ন: প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?উত্তর: আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, যেমন: মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, মাটি, পানি, পাহাড়-পর্বত—এ সবকিছুই আমাদের পরিবেশ। এগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলা হয়।প্রশ্ন: দেশকে ভালোবাসা বলতে কী বোঝায়?উত্তর: দেশকে ভালোবাসা অর্থ দেশের মাটি, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসা। দেশের মানুষ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভালোবাসা।প্রশ্ন: কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখলে কী করা উচিত?উত্তর: কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখলে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।প্রশ্ন: মাখরাজ কাকে বলে?উত্তর: আরবি শব্দ উচ্চারণের সময় মুখের একেক জায়গা থেকে একেকটি হরফ উচ্চারিত হয়। আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে।প্রশ্ন: তাজবিদ কাকে বলে?উত্তর: কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের নিয়মকে তাজবিদ বলে। অর্থাত্ কুরআন মজিদের আয়াতসমূহ এবং আয়াতের শব্দ ও বর্ণের সঠিক উচ্চারণ করার পদ্ধতিই হলো তাজবিদ।প্রশ্ন: ওয়াকফ বলতে কী বোঝ?উত্তর: কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য আয়াতের মধ্যে কয়েক প্রকারের বিরামচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। এ চিহ্নগুলোর দ্বারা কোথায় থামতে হবে, কোন জায়গায় কিছুটা শ্বাস নেওয়া যাবে, তা নির্দেশ করা হয়েছে। এ বিরামচিহ্নকে ওয়াকফ বলা হয়।প্রশ্ন: মাখরাজ কয়টি?উত্তর: আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। মাখরাজ ১৭টি।প্রশ্ন: কুরআন মজিদ কার বাণী?উত্তর: কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার বাণী।প্রশ্ন: কুরআন মজিদ আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে কেন?উত্তর: মহানবি (সা.)-এর কওমের বা জাতির ভাষা ছিল আরবি। তাই কুরআন মজিদ আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে।প্রশ্ন: হিলফুল ফুজুলের উদ্দেশ্য কী ছিল?উত্তর: হিলফুল ফুজুলের উদ্দেশ্য ছিল শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।প্রশ্ন: পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্বন্ধে কী মন্তব্য করেছিলেন?উত্তর: পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অসাধারণ বালক বলে মন্তব্য করেন এবং শেষ নবি বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি আবু তালিবকে মহানবি (সা.) সম্পর্কে সাবধান করেন এবং বলেন, শত্রুরা তাঁর অনিষ্ট করতে পারে।প্রশ্ন: হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর গঠিত সংঘের নাম কী?উত্তর: সিরিয়া থেকে ফিরে এসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) ফিজার যুদ্ধের বিভীষিকা দেখলেন। তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। তবে যুদ্ধের ভয়াবহতা উপলব্ধি করলেন। এতে তাঁর হূদয় কেঁপে উঠল। আহত ব্যক্তিদের আর্তনাদ শুনে তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। শান্তিকামী মানুষ হিসেবে এ অশান্তি তাঁর সহ্য হলো না। তাই তিনি আরবের শান্তিকামী যুবকদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ (শান্তি সংঘ) গঠন করলেন।প্রশ্ন: হাজরে আসওয়াদ কোথায় স্থাপন করা হয়েছিল?উত্তর: হাজরে আসওয়াদ শব্দের অর্থ কালো পাথর। এটি কাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ কালো পাথরটি (হাজরে আসওয়াদ) কাবার দেয়ালে স্থাপন করা হয়েছিল।প্রশ্ন: আনসার কারা?উত্তর: আনসার মানে সাহায্যকারী। হিজরতের সময় মক্কা থেকে যাঁরা মদিনায় গমন করেছিলেন, তাঁদের মদিনায় যাঁরা আশ্রয় ও সাহায্য-সহযোগিতা দিলেন, তাঁদের আনসার বলা হয়।প্রশ্ন: মুহাজির কাদের বলে?উত্তর: মুহাজির মানে হিজরতকারী। মক্কা থেকে হিজরত করে যাঁরা মদিনায় যান, তাঁদের বলা হয় মুহাজির।প্রশ্ন: বদর যুদ্ধের কারণ কী?উত্তর: মক্কার কাফির মুশরিকরা চেয়েছিল ইসলাম ও মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে। মদিনায় ইসলামের উত্তরোত্তর উন্নতি দেখে তারা হিংসায় জ্বলে ওঠে। মদিনায় ইহুদিরা তাদের প্ররোচিত করছিল। আবার আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলা মুসলমানদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার গুজব উঠেছিল। মূলত কাফেরদের সঙ্গে এসব কারণে বদর যুদ্ধ হয়েছিল।প্রশ্ন: হুদাইবিয়ার সন্ধি কী?উত্তর: হিজরি ৬ সালে (৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে) রাসুল (সা.) উমরা পালনের উদ্দেশ্যে ১ হাজার ৪০০ জন সাহাবিসহ মক্কার নয় মাইল দূরে হুদাইবিয়া নামক স্থানে উপনীত হলে কুরাইশরা উমরা পালনে বাধা দেয়। এরপর একপর্যায়ে মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে মুসলমানদের ১০ বছর মেয়াদি একটি সন্ধি হয়। এটিই হুদাইবিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত।প্রশ্ন: বিদায় হজ কাকে বলে?উত্তর: মহানবি (সা.) দশম হিজরিতে হজ পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের শেষ হজ। তিনি এরপর আর হজ করার সুযোগ পাননি। তাই একে বিদায় হজ বলে।প্রশ্ন: পৃথিবীর আদি মানব কে ছিলেন?উত্তর: আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে মানব জাতি প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রথম হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন এবং তাঁকে একপর্যায়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। এ জন্য হযরত আদম (আ.)-কে পৃথিবীর আদি মানব বলা হয়।প্রশ্ন: হযরত ইবরাহীম (আ.) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?উত্তর: নবি হযরত ইবরাহীম (আ.) ইরাক দেশের বাবেল শহরে এক পুরোহিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত ইবরাহিম (আ.)-কে মুসলিম জাতির পিতা বলে গণ্য করা হয়।প্রশ্ন: হযরত দাউদ (আ.)-এর ওপর কোন কিতাব নাজিল হয়?উত্তর: হযরত দাউদ (আ.) ছিলেন একজন বিখ্যাত রাসুল। তাঁর ওপর প্রসিদ্ধ আসমানি কিতাব ‘যাবুর’ নাজিল হয়।প্রশ্ন: হযরত দাউদ (আ.)-এর বীরত্বের উদাহরণ দাও?উত্তর: হযরত দাউদ (আ.) ছিলেন অসীম সাহসী এবং অসাধারণ বীরত্বের অধিকারী। তাঁর যুদ্ধ কৌশল ছিল অসাধারণ। তিনি সেনাপতি থাকাকালে আল্লাহদ্রোহী ও অত্যাচারী শাসক জালুতকে যুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করেছিলেন। বাদশাহ তালুত তাঁর বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে স্বীয় কন্যাকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। বাদশাহর মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন।শিক্ষকউইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা | 177,710 |
সোহরাব হাসান | opinion | মতামত | ০২ জুলাই ২০১৮, ১৫:৪৩ | ০২ জুলাই ২০১৮, ১৮:০৩ | সোহরাব হাসান,রাজনীতি,লেখকের কলাম | null | সংজ্ঞা জানেন না নির্বাচন কমিশনার! | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1523176 | সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অন্যতম কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের সঠিক কোনো সংজ্ঞা নেই। কমিশন দেখে নির্বাচন আইনানুগ হয়েছে কি না? ইসি আইনের মধ্যে থাকতে চায়। আইনানুগ নির্বাচন হলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়।’এমন অদ্ভুত কথা কোনো আমপাবলিক বললে আমরা ধরে নিতাম তিনি নির্বাচনী আইন সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই এ রকম বালখিল্য কথা বলতে পারেন। কিন্তু কথাটি এসেছে এমন ব্যক্তির কাছ থেকে, যিনি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য জাতির কাছে শপথ নিয়েছেন। রফিকুল ইসলাম সাহেবদের জানা উচিত নির্বাচন মানেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটার তালিকা প্রণয়ন থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ—নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে কোনো অনিয়ম, ত্রুটি বা জবরদস্তি হয়ে থাকলে সেটি আর নির্বাচন থাকে না। ১৯৯৪ সালের ২৬ মার্চ আন্তসংসদীয় কাউন্সিলের ১৫তম সভায় সর্বসম্মত ঘোষণায় বলা হয়, ‘ইন এনি স্টেট দ্য অথোরিটি অব দ্য গভর্নমেন্ট ক্যান অনলি ডিরাইভ ফ্রম দ্য উইল অব দ্য পিপল অ্যাজ এক্সপ্রেসড ইন জেনুইন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনস হেল্ড অ্যাট রেগুলার ইন্টারভ্যালস অন দ্য বেসিস অব ইউনিভার্সাল, ইকুয়াল অ্যান্ড সিক্রেট সাফরিজ।’রফিকুল ইসলাম বলেছেন, কমিশনের দেখার বিষয় নির্বাচনটি আইনানুগ হয়েছে কি না? তাঁর এই বক্তব্যের জবাবে অন্য দেশ নয়, বাংলাদেশেরই অতীতের কিছু নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরছি। দেশটি বহু বছর সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। সামরিক শাসকেরা বরাবর নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আইনানুগ নির্বাচনের পথ বেছে নিয়েছেন এবং জনগণকে কিছু সময়ের জন্য বোকাও বানিয়েছেন। কিন্তু চিরদিন বোকা বানানো সম্ভব হয়নি। রফিকুল ইসলাম সাহেবরা এখন জনগণকে বোকা বানাতে চেষ্টা করছেন আইনানুগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিতর্ক তুলে।সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যথাক্রমে ১৯৭৭ ও ১৯৮৬ সালে দুটি গণভোট করেছিলেন, যাতে কোনো কোনো কেন্দ্রে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছিল এবং সেই গণভোটে তাঁদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। তাঁরা এই গণভোট প্রথা নিয়েছিলেন পূর্বসূরি আইয়ুব খানের কাছ থেকে। তবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেই গণভোটের রেকর্ডও বর্তমান কমিশন ভেঙে দিয়েছে। সেখানে একটি কেন্দ্রে ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বলতে হবে দুটোই ছিল আইনানুগ নির্বাচন। এরপর দৃষ্টি দেওয়া যাক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে। জিয়াউর রহমান সামরিক শাসন বহাল রেখেই ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ বহু দল অংশ নিয়েছিল। অর্থাৎ নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলকও ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনকে কোনোভাবেই অবাধ ও সুষ্ঠু বলা যাবে না। সামরিক শাসনের সুবিধা নিয়ে জেনারেল জিয়া দল করেন এবং সেই দল দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ীও হয়। তার আগে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট করে নিজে রাষ্ট্রপতি পদে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, তথা গণতান্ত্রিক জোটের (গজ) প্রার্থী হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী। সেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনের ক্ষেত্রে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও জিয়ার পথ অনুসরণ করেন। সামরিক শাসনের মধ্যেই তিনি ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচন করেন এবং নবগঠিত জাতীয় পার্টিকে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী করে আনেন। সামরিক শাসকদের দুই-তৃতীয়াংশ আসনের প্রয়োজন হয় সামরিক আইনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য। ছিয়াশির নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও আওয়ামী লীগসহ বহু দল অংশ নেয়। অর্থাৎ নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক ছিল। কিন্তু সুষ্ঠু ও অবাধ ছিল, সে দাবি এরশাদ ছাড়া কেউ করবেন না। এর পৌনে দুই বছরের মাথায় এরশাদ গণ-আন্দোলনের মুখে সংসদ ভেঙে দেন এবং চতুর্থ সংসদ নির্বাচন করেন, যা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোট বর্জন করলেও শ খানেক দল অংশ নেয়। জাসদ নেতা আসম রব ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দলের নেতা হয়েছিলেন। রফিকুল ইসলামের চোখে হয়তো সেই নির্বাচনও আইনানুগ ছিল; কিন্তু সুষ্ঠু ও অবাধ ছিল না। এ ছিল সামরিক শাসনামলের নির্বাচনী খতিয়ান। পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক শাসনামলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন হয়, সেটিকেও বেআইনি বলা যাবে না। কেননা, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাস করে এবং সেই আইনের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর—তিনটি নির্বাচন হয়।রফিকুল ইসলাম সাহেবদের জানা দরকার যে একটি নির্বাচন আইনানুগ হওয়াই যথেষ্ট নয়। নির্বাচনটি একই সঙ্গে সুষ্ঠু ও অবাধ হতে হবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অতীতে শুধু ‘আইনানুগ’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কোনো সংসদই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। গণ-আন্দোলন কিংবা গণ-অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে সেসব সংসদও ভেসে গেছে। ‘ভোটারবিহীন’ চতুর্থ সংসদ সাংসদদের জন্য বিনা শুল্কে গাড়ি কেনার যে আইন পাস করেছিল, সেই আইনের সুবিধা সাংসদেরা এখনো পাচ্ছেন এবং দু-একজন ব্যতিক্রম ছাড়া তাঁরা সেই সুবিধা ভোগও করছেন। অর্থাৎ নির্বাচনটি ‘আইনানুগ’ ছিল। রফিকুল ইসলামের কথায় মনে হচ্ছে, তাঁরা শুধু একটি আইনানুগ নির্বাচনই চান; জনগণের আকাঙ্ক্ষার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না। কিন্তু আইন রক্ষার নির্বাচনের জন্য এত বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে উপমহাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রয়োজন ছিল না। ‘সাদেকালী’ কিংবা আজিজ মার্কা একটি কমিশন গঠন করলেই হতো। তাঁরা শুধু আইনানুগ নির্বাচনে সন্তুষ্ট থাকলেও দেশের ষোলো কোটি মানুষ চায় নির্বাচনটি একই সঙ্গে আইনানুগ ও সুষ্ঠু হোক।রফিকুল ইসলাম বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ‘সঠিক’ কোনো সংজ্ঞা নেই। তবে ‘বেঠিক’ সংজ্ঞা যে আছে, তা তাঁরা খুলনা ও গাজীপুরে দেখিয়ে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে কমিশন যদি খুলনা ও গাজীপুরের মতো নির্বাচন করতে না চায়, তাহলে জনগণ সুষ্ঠু নির্বাচনের সঠিক সংজ্ঞা খুঁজে পাবে।সোহরাব হাসান: কবি ও সাংবাদিক। | 369,066 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২০ জুলাই ২০১৩, ২২:০১ | ২০ জুলাই ২০১৩, ২২:০৪ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/27138 | ৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করার কাজটা যে মোটেই সহজ হবে না, সেটা বোঝা গিয়েছিল শুরুতেই। প্রথম বলেই কলিন ইনগ্রামের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। কিন্তু তাই বলে মাত্র ১৪০ রানেই গুটিয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা? কল্পনাতে না এলেও এমনটাই ঘটেছে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। ১৮০ রানের বড় ব্যবধানের জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা দারুণভাবেই করেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। যে উইকেটে শ্রীলঙ্কা ৩২০ রানের পাহাড় গড়ল, সেখানে রানের চাকা ঘোরাতে হিমশিম খেতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। থিসারা পেরেরা আর রঙ্গনা হেরাথের দারুণ বোলিংয়ে দাঁড়াতেই পারলেন না প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। দুই লঙ্কান বোলারই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে মাত্র ২৯ রানেই ইনগ্রাম ও জেপি ডুমিনির উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স ও আলভিরো পিটারসেন। কিন্তু ১২তম ওভারে ডি ভিলিয়ার্স সাজঘরে ফেরার পর ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সফরকারীরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ৩২ ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া ইনিংস। স্কোরবোর্ডে তখন জমা হয়েছিল মাত্র ১৪০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস এসেছে রবিন ও আলভিরো পিটারসেনের ব্যাট থেকে।এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদেরও নাজেহাল করেছেন উপুল থারাঙ্গা, কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। সাঙ্গাকারা খেলেছেন ক্যারিয়ারসেরা ১৬৯ রানের ইনিংস। ১৮টি চার ও ৬টি ছয়ে সাজানো এই দুর্দান্ত ইনিংসটি তিনি খেলেছেন ১৩৭ বলে। সাজঘরে ফেরার আগে থারাঙ্গা করেছেন ৪৩ রান। ৪২ রান এসেছে জয়াবর্ধনের ব্যাট থেকে। | 3,709 |
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৪৬ | ১৩ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৪৭ | বদরগঞ্জ,রংপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বন্ধ করে দেওয়া ১৪টি ইটভাটা ফের চালু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/191404 | হাইকোর্টের নির্দেশে রংপুরের বদরগঞ্জে বন্ধ করে দেওয়া ১৪টি অবৈধ ইটভাটা আবার চালু করা হয়েছে। ২ এপ্রিল রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আটজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য অভিযান চালিয়ে ওই ভাটাগুলো বন্ধ করে দেন।জানা গেছে, উপজেলায় ৩৭টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কৃষিজমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলায় এবং ভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির অভিযোগে ভাটাগুলো বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টে লিখিত আবেদন করেন আইনজীবী ইকবাল হোসেন। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও এ বি এম আলতাফ হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৮ মার্চ অনুমোদনবিহীন ইটভাটা বন্ধ ও আইন লঙ্ঘন করে গড়ে তোলা ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২ এপ্রিল উপজেলার বিবিসি, আরআরবি, টিবিসি, বিবিএম, কেবিএল, এআরবিএল, পিবিএম, ইবিএল, আরবিএম, বিবিএল, কিং, আরবিএল-২, আরবিসি ও বিবিবি ইটভাটা প্রশাসন বন্ধ করে দেয়।৩ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘বদরগঞ্জে ১৪টি ইটভাটা বন্ধ করে দিল প্রশাসন’ শিরোনামে সচিত্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিপরীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একজন বিচারপতি ২ এপ্রিল স্থগিতাদেশ দিয়ে ১৭ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। এই সুযোগে বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটাগুলো আবার চালু করা হয়েছে।মধুপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের গোপেন চন্দ্র রায় (৪২) বলেন, ‘মধুপুরে আধা কিলোমিটারের মধ্যে নয়টি ইটভাটা রয়েছে। ভাটার কারণে এলাকার জমিতে লাগানো ধান প্রতিবছরই নষ্ট হচ্ছে। ভাটাগুলো বন্ধ করায় খুশি হয়েছিলাম। পুনরায় তা চালু করায় চিন্তিত হয়ে পড়েছি।’ | 65,571 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০১ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০২ | নির্বাচন | 0 | এক ভোটে জয়ী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1048653 | সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে বিজয়ী ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান মাত্র একটি। গতকাল বুধবার সকাল নয়টায় ধরমপাশা উপজেলার জনতা মডেল উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৬৭ জন। দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে যায়। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে শামীম আহমেদ মুরাদ (তালা) ৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অপর প্রার্থী জুবায়ের পাশা হিমু (বৈদ্যুতিক পাখা) পেয়েছেন ৩৩ ভোট। ধরমপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি | 278,323 |
ইকবাল খান | education | শিক্ষা | ১৭ মার্চ ২০১৫, ০০:২৮ | ১৭ মার্চ ২০১৫, ০০:৩২ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি | http://www.prothom-alo.com/education/article/478690 | লেসন-১ ডিপ্রিয় শিক্ষার্থী, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) -এর নতুন প্রশ্নকাঠামো অনুসারে ইংরেজির Lesson-1 D থেকে প্যাসেজ ও প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।Read the following text carefully and answer the questions 1,2,3, and 4.Badal : Hello, Mamun! How are you?Mamun : I’m fine, thanks. And you?Badal : I’m fine too. Listen. I’m going to the Book Fair. Would you like to come?Mamun : Sorry, friend. I have to go home first to drop these medicines. But I can join you after an hour.Badal : That’s fine. I’ll wait for you. See you at the fair.Mamun : Right. See you there. Bye!Badal : Bye!Q1. Choose the best answer from the alternatives.i. Mamun is ?. a. fine b. sick c. ill d. unwellii. Mamun ? Badal.a. thanks b. hates c. avoids d. neglectsiii. Badal is ?.a. well b. unwell c. sick d. illiv. Both Badal and Mamun are ?.a. fine b. unwell c. sick d.illv. Badal is going to ?.a. fair b. ceremony c. book fair d. festivalvi. Mamun could not join Badal because he had to go ?.a. to school b. to library c. home d. to the fairvii. Mamun went home to drop some ?.a. thing b. drugs c. articles d. materialsviii. Badal and Mamun will meet at the ?.a. festival b. shop c.book fair d. in the marketix. Badal and Mamun are ? each other.a. unknown to b. known to c. unfamiliar to d. unacquainted withx. Mamun ? Badal’s proposal.a. agreed to b. refused to c. neglected d. avoidedAnswer to the question no 1i. + a. = fine; ii. + a. = thanks iii. + a. = well; iv. + a. = finev. + c. = book fair; vi + c. = homevii + b. = drugs; viii + c. = book fairix + b. = known to; x + a. = agreed toQ2. Match the words of the column A with their meaning that is mentioned in the text in the column B extra two are given in column B.Column A Column Ba. fineb. listenc. sorryd. medicinee. join i. to involve in any workii. feeling sadnessiii. drugiv. to give attention to someone or somethingv. to hearvi. beautifulvii. to work in a schoolAnswer to the question no 2a. fine = vi. beautifulb. listen = v. to hearc. sorry = ii. feeling sadnessd. medicine = iii. druge. join = i. to involve in any workQ. 3. Answer the following questions in sentences.a. Where is Badal going?b. Why will not Mamun be able to go with Badal?c. Did you go to a book fair?d. Why will Mamun have to go home?e. When can Mamun join Badal?Answer to the question no 3a. Badal is going to the Book Fair.b. Mamun will not be able to go with Badal because he has to go home to drop some medicines.c. Yes, I went to the Ekushey Book Fair.d. Mamun will have to go home to drop some medicines.e. Mamun can join Badal after an hour.Q. 4. Write a short composition in five sentences on “Your Visit to a Book Fair”.Answer to the question no 4My Visit to a Book FairI went to Bangla Academy Book Fair yesterday. I went there with my parents. I bought some books. My father bought a magazine. My mother bought a book on religion.শিক্ষকবীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | 123,875 |
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জুন ২০১৬, ০১:২৩ | ২৯ জুন ২০১৬, ০১:২৪ | বিশাল বাংলা | 0 | জেলে পরিবারকে অনুদান প্রদান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/902698 | জলদস্যুরা ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে হাত-পা বেঁধে বঙ্গোপসাগরে ফেলে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার যে চার জেলেকে হত্যা করেছিল, তাঁদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রতিটি জেলে পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। জেলে মো. শুক্কুর আলী, মো. নজরুল ইসলাম, মো. জামাল ও মো. লিটনের স্বজনদের হাতে এসব চেক তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো. ইকবাল হোসেন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। | 236,775 |
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মার্চ ২০১৪, ০২:১৩ | ০৭ মার্চ ২০১৪, ০২:১৪ | রায়পুর,লক্ষ্মীপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | রায়পুরে সেতুর রেলিং নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/162913 | লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর রায়পুর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর ওপর সেতুটির রেলিং নেই পাঁচ বছর ধরে। এ কারণে বিভিন্ন যানবাহন ও উপজেলার চরমোহনা ও রায়পুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সেতুটির ওপর দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।গত কয়েক মাসে এ সেতুর ওপর দিয়ে রাতে চলাচলকারী কয়েকটি মোটরসাইকেল ও রিকশা নিচে নদীতে পড়ে যায়। বিষয়টি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ, উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের একাধিকবার জানিয়েও সুফল মেলেনি।স্থানীয় লোকজন জানান, প্রথমে একটি দ্রুতগামী ট্রলির ধাক্কায় সেতুর একপাশের রেলিংয়ের একটি খুঁটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে এলাকার মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা রেলিং ভেঙে ভেতরের লোহাগুলো খুলে নিয়ে যায়।উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউছুফ জানান, সেতুটি দুটি ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে রেলিং না থাকায় লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছে। রাতে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই নদীতে পড়ে আহত হয়। বিষয়টি কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।রায়পুর উপজেলা প্রকৌশলী আকতার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘বরাদ্দ পেলে সেতুটির রেলিং নির্মাণসহ সংস্কারকাজ করা হবে।’ | 56,486 |
রোজিনা ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ জুলাই ২০১৫, ১৯:০৫ | ২০ জুলাই ২০১৫, ২০:৪৩ | অপরাধ | null | বিজিবির কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে মালামাল লুটের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/580819 | বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) কয়েকজন সদস্যদের বিরুদ্ধে গাড়ি আটক করে মালামাল লুট করার অভিযোগ করেছেন কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এস এ পরিবহনের কর্মকর্তারা।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিজিবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসী কায়দায় বিজিবির সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে এস এ পরিবহনের গাড়ি আটক করে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের ফোন কেড়ে নেয়। এরপর গাড়ি স্কট করে নিয়ে গিয়ে মালামাল নিয়ে যায়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৯ মে এস এ পরিবহনের একটি কাভার্ড ভ্যান খুলনা থেকে ঢাকা আসার পথে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মনসুরাবাদ ব্রিজের ওপর বিজিবি-৬ ক্যাম্পের ১৫ থেকে ১৬ জন সদস্য জোর করে আটক করে। তাঁরা চালকসহ অন্যদের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে কন্টেইনারের তালা খুলতে বাধ্য করেন। সেখানে তাঁরা কাভার্ড ভ্যান থেকে মালামাল নিয়ে তাঁদের গাড়িতে ওঠাতে থাকেন। এ সময় এস এ পরিবহনের সাতক্ষীরার আরেকটি গাড়ি সেখানে আসে। খুলনার গাড়িটি দাঁড়ানো দেখে তারা সেখানে থামায়। সাতক্ষীরার ব্যবস্থাপক আয়ুব আলী সেখানে গিয়ে বিজিবি সদস্যদের গাড়ি থেকে মাল নামাতে বাধা দেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তাঁর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। একপর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা খুলনার গাড়িটি তাঁদের সঙ্গে নিয়ে যান। আইয়ুব আলী বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি সাতক্ষীরার গাড়িতে ঢাকা অফিসে এসে কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানান। খোঁজখবর নেওয়ার একপর্যায়ে কুষ্টিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান পরের দিন বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে গেলে সেখানে গাড়ির সন্ধান পান। বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা গাড়ি থেকে মালামাল নিচে নামাচ্ছেন। পরে খুলনার গাড়ি থেকে আটটি মেমোর ১৫টি বস্তা ও কার্টন মালের কাগজপত্রসহ রেখে দিয়ে অন্যান্য মালামাল গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেন। এ কারণে গ্রাহকের মালামাল চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলে চিঠিতে বলা হয়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, এই গাড়িতে খুলনা অঞ্চলের জরুরি সরকারি, বেসরকারি ডাক, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ ছাড়াও সময় এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত ওষুধ, কাঁচা মাছ ছিল, যা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই গাড়িটি আট ঘণ্টা আটকিয়ে রাখার কারণে গ্রাহকদের মালামাল যথাসময়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া কাঁচা ও পচনশীল মালামাল সব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।এস এ পরিবহনের কর্মকর্তারা চিঠিতে আরও জানান, নিয়মানুযায়ী বর্ডার গার্ড সীমান্তের পাঁচ মাইলের মধ্যে তাঁদের চোরাচালান বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে। সীমান্তের পাঁচ মাইলের বাইরে তাঁদের কর্মকাণ্ড করার ক্ষেত্রে অবশ্যই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু উল্লিখিত বিজিবি ব্যাটালিয়ন দ্বারা পরিচালিত বর্তমান কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি, হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান হয়।জানতে চাইলে এস এ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবির সদস্যরা প্রায়ই গাড়ি আটকিয়ে মালামাল রেখে দিচ্ছেন। এরপর আর মালামাল ফেরতও দেন না তাঁরা। জব্দ করা মালামালের তালিকাও তাঁরা দেন না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক জিডি ও মামলা করা হয়েছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই।সালাউদ্দিন দাবি করেন, চুয়াডাঙ্গা রুটে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। মালামাল খুঁজতে বিজিবি ক্যাম্পে গেলে তাঁরা সেগুলো রেখে দিয়ে বলছেন, সিও-র নির্দেশে তাঁরা এটা করছেন।বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ আজ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। যদি বিজিবির কোনো সদস্য এসব অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকে তবে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ | 153,705 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৯ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪৬ | রাজনীতি,বিএনপি,মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,শেখ হাসিনা,আওয়ামী লীগ,সরকার | null | প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘অপরাধবোধ’ থেকে, মনে হয়েছে ফখরুলের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1576229 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান ‘কথার কথা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ‘গিল্টি কনসায়েন্স’ (অপরাধবোধ) থেকে বক্তব্য দিয়েছেন।আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।মির্জা ফখরুল বলেন,‘জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে ডাক দিয়েছেন সেটাকে তো মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপির সঙ্গে যে সংলাপ হলো তখন প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো দিয়েছিলেন, সেই কথা উনি রাখতে পেরেছেন? একটাও রাখতে পারেননি অর্থাৎ রাখেননি। তিনি বলেছেন, গ্রেপ্তার হবে না, নতুন কোনো মামলা হবে না এবং একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে- একটাও রাখেননি।’ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো বলছেন, এগুলো কথার কথা, এগুলো উনি সব সময় বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি তো ফলাফলই প্রত্যাখ্যান করেছে। সেখানে নতুন করে শপথ নেওয়া ও সংসদে যাওয়া- এই বিষয়ে তো কোনো প্রশ্নই উঠে না।টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি জাতীয় ঐক্য ও বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানান।শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমি শুনেছি। প্রথমে যেটা মনে হয়েছে উনি (প্রধানমন্ত্রী) একটা গিল্টি কনসেস (অপরাধবোধ) থেকে বক্তব্যটা রেখেছেন। কেন জানি না মনে হয়েছে যে, তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) কোথাও একটা মনে হচ্ছে যে, বিষয়টা ঠিক হয়নি। একটা ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। সেই ব্যাখ্যা উনি দিয়েছেন। কেন বিএনপি ভালো করতে পারল না, কেন তাঁরা (আওয়ামী লীগ) এত ভালো করল। যেটা চিন্তাভাবনা থেকেই বলেছেন।’বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, ‘ভয়ে প্রকৃত ঘটনায় কেউ যেতে চাচ্ছে না। মিডিয়াও বলছে না। অন্যান্যরাও সহজে বলতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে মিডিয়া, পলিটিক্যাল এরিয়া, বিভিন্ন দেশগুলো থেকে যে সমস্ত বক্তব্য এসেছে, যে সমস্ত রিপোর্ট এসেছে তাতে করে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হয়নি। এটা একটা কঠিন তামাশা হয়েছে জাতির সঙ্গে। যে কথাটা আমি বারবার বলছি, জাতির সঙ্গে ক্রুয়েল মকারী (নিষ্ঠুর মশকরা)।’ তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন বাংলাদেশের বড় রকমের ক্ষতি করে দিয়েছে দীর্ঘস্থায়ীভাবে। এই নির্বাচনের ফলে নির্বাচন প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা জলে গেল, এই নির্বাচনের ফলে নির্বাচন কমিশনের ওপরে আস্থা চলে গেল, এই নির্বাচনের ফলে রাষ্ট্রের ওপরে আস্থা চলে যাচ্ছে এ জন্য যে রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল, বিভিন্ন এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল।’মির্জা ফখরুল আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইশতেহারে, কাজের যে ফিরিস্তি দিয়েছেন তাতে তো বিরাট গরমিল রয়েছে। এই যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে এটা পুরোপুরি তো ধোঁকার উন্নয়ন। কিছু মানুষ বড় লোক হচ্ছে, ধনী হচ্ছে। পত্রিকায় রিপোর্টও এসেছে যে, বাংলাদেশের ধনীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। আর গরিব আরও গরিব হচ্ছে। | 388,232 |