author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মার্চ ২০১৭, ০০:৪৮ | ১৮ মার্চ ২০১৭, ০০:৫০ | সৈয়দপুর,নীলফামারী,রংপুর বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | ডাকাত গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1111450 | নীলফামারীর সৈয়দপুরে ডাকাতির ঘটনায় ওসমান আলী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওসমানের বাড়ি শহরের ইসলামবাগ এলাকায়। থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শহরের নতুন বাবুপাড়া এলাকার আবিদ হোসেনের বাড়িতে ৭-৮ জনের একদল ডাকাত হামলা করে এক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। অন্যরা পালিয়ে গেলেও ওসমানকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। সৈয়দপুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন । সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি | 303,974 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জুলাই ২০১৭, ০১:২৫ | ০৩ জুলাই ২০১৭, ০১:২৫ | -1 | 0 | বাংলাদেশি শ্রমিকের বিরুদ্ধে আপিল খারিজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1236211 | সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর সাজা দাবি করে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দুবাইয়ের আপিল আদালত। ওই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় এক বাংলাদেশিকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সবজি কাটার চাকু দিয়ে তিনি ওই ব্যক্তিকে দুবার ছুরিকাঘাত করেন। গত বছর ৩১ আগস্ট আল-রাফা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুবাইয়ের একটি ফৌজদারি আদালত ৪২ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। নিম্ন আদালতের এ রায় বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাজার মেয়াদ শেষে ওই বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। দ্য ন্যাশনাল | 323,904 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৪৩ | ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:০০ | দুর্ঘটনা | null | রেললাইনে বিকল মাইক্রোবাস, ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৩ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1345606 | কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিকল হয়ে পড়ে মাইক্রোবাস। এ সময় এসে পড়ে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ১২ পাড়া ইউনিয়নের বিজয়পুর জেলখানা বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতেরা হলেন, সেনট্রি সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের আঞ্চলিক সুপারভাইজার হারুনুর রশিদ (৪২), একই কোম্পানির মাঠ কর্মকর্তা আবু তাহের (৪২) ও মাইক্রোবাস চালক সোহেল খন্দকার (২৬)। এর মধ্যে হারুনুর রশিদের বাড়ি চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরিয়া গ্রামে। আবু তাহেরের বাড়ি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জারখন্ড গ্রামে এবং মাইক্রোবাস চালক সোহেলের বাড়িও একই উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পাহাড়িকা ট্রেনের যাত্রী মাসুদ পারভেজ বলেন, ট্রেনে লাকসাম থেকে কুমিল্লা যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে বিজয়পুর জেলখানাবাড়ি এলাকায় রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসটি রেললাইনের মধ্যে আটকে যায়। তখন পাহাড়িকা ট্রেন ওই মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত এক কিলোমিটার উত্তর দিকে মোহনপুর এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় ট্রেনের চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় রেললাইন থেকে দোমড়ানো মোচড়ানো মাইক্রোবাসটিকে সরানো হয়। সাড়ে ১২টায় ট্রেনটি আবার ছাড়ে।খবর পেয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপালি মণ্ডল, লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কান্তি বড়ুয়া ও বারোপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে আসেন। | 341,515 |
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৩১ | ৩০ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৩২ | ময়মনসিংহ,বিশাল বাংলা | 0 | ডায়রিয়ায় ৬ দিনে তিনজনের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/60502 | ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ছয় দিনে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।এলাকাবাসী ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নারায়ণপুর ও উচারগাতি, উচাখিলা ইউনিয়নের হরিয়াখালি ও রাজীবপুর ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামে ১৯ অক্টোবর থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। উচারগাতি গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (৪০) ২৩ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। সকাল সাতটায় তিনি মারা যান। গত সোমবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নারায়ণপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছয় মাস বয়সী মেয়ে মিতু মারা যায়। হরিয়াখালি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী ছালেমা খাতুন (৮০) সোমবার রাতে এ রোগে আক্রান্ত হন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।নারায়ণপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন জানান, ডায়রিয়ায় এভাবে তিনজনের মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আশপাশের গ্রামে নতুন করে লোকজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা ডায়রিয়ায় তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। | 24,029 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | economy | অর্থনীতি | ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৯ | ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৪ | বিশ্লেষণ,বাণিজ্য সংবাদ | null | ৯ দেশের ১টি হবে বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1573948 | বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন * এ অর্থবছরে ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে এমন নয়টি দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ * অন্য ৮ দেশ হলো ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, জিবুতি, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ঘানা ও রুয়ান্ডাচলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সারা বিশ্বে মাত্র নয়টি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এসব দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি ও আফ্রিকার পাঁচটি দেশ আছে। এই নয়টি দেশের একটি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হতে পারে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য আটটি দেশ হলো ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, জিবুতি, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ঘানা ও রুয়ান্ডা। তবে এই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতকেই উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।৮ জানুয়ারি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস-২০১৯ প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে এমন নয়টি দেশ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবার ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও পরের তিন অর্থবছরে তা কমে যেতে পারে। ২০১৯-২০,২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, মূলত ব্যক্তি খাতের ভোগ চাহিদা ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিই চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘোষণার সময় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের একাধিকবার বলেছেন, অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে এবার ৮ দশমিক ২৫ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদনে। সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, দক্ষিণ এশিয়া হলো বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অগ্রসরমাণ অর্থনৈতিক অঞ্চল। মূলত ব্যক্তি খাতের ভোগ চাহিদা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে এই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হওয়ার অন্যতম কারণ।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্ভাবনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণও বাধা হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৯ সালে এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশ জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে, যা একধরনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। যার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে।বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ভুটান। দেশটি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। এরপরই ভারতে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। তৃতীয় স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া পাকিস্তান ও নেপাল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। অর্থবছরের হিসাবে এই পাঁচটি দেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর পঞ্জিকাবর্ষের হিসাবে বাকি তিনটি দেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দেশগুলোর মধ্যে ২০১৮ সালে মালদ্বীপ ৮ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৩ দশমিক ৯ শতাংশ ও আফগানিস্তান ২ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া থেকে তিনটি দেশকে বিবেচনা করে বিশ্বব্যাংক। দেশগুলো হলো ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। চলতি অর্থবছরে ভারত ও বাংলাদেশই ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। আগামী তিন অর্থবছরে ভারত ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেরই জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। তবে সার্বিকভাবে আগামী তিন অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি বাড়বে।আরও পড়ুন: ২৫ বড় অর্থনীতির তালিকায় ঢুকবে বাংলাদেশ | 386,579 |
বাসস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৫২ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:০৫ | সরকার | null | ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1037527 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ভারত সফরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আজ শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে যান এম জে আকবর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ভারত সফরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এখন দুই দেশের কর্মকর্তারা বসে সফরসূচি চূড়ান্ত করবেন।১৮ ডিসেম্বর তিন দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত যাওয়ার কথা ছিল। তবে অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়ে যায় দুই দিন আগে। | 272,943 |
এএফপি | international | আন্তর্জাতিক | ২৯ জুলাই ২০১৬, ০১:২০ | ২৯ জুলাই ২০১৬, ০১:২১ | আরব বিশ্ব | 0 | খোলা হচ্ছে আলেপ্পো থেকে বেরোনোর পথ | http://www.prothom-alo.com/international/article/928867 | সিরিয়ার লড়াইয়ে অবরুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ আলেপ্পো নগর থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিতে বেসামরিক লোক ও বিদ্রোহীদের জন্য চারটি করিডর (পথ) খুলে দিচ্ছে সরকারি বাহিনী। তারা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ নগর কার্যত ঘিরে রেখেছে। সিরিয়ার অন্যতম মিত্র রাশিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার এ পথ খোলার কথা জানিয়েছে।করিডর খোলা প্রসঙ্গে গতকাল রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সয়গু বলেন, আলেপ্পোর বেসামরিক লোকজনের জন্য তিনটি ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের জন্য একটি করিডর খোলা হবে।চার বছর ধরে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চল দখল করে রেখেছেন বাশারবিরোধী বিদ্রোহীরা। তাঁদের কাছ থেকে নগরের পুরো নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় এটি ঘিরে রেখেছে সরকারি বাহিনী। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে গতকাল বলা হয়, নগরের আরও কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকারি বাহিনী।বাশারের অনুগত সেনাবাহিনী বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন করে সেখানকার সরবরাহ পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে সেসব স্থানে আটকে পড়া বহু সাধারণ মানুষ খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সংকটে পড়ছে। বাশার বাহিনীর চেষ্টায় সহায়তা করছে রাশিয়ার বিমানবাহিনী।এদিকে আলেপ্পোয় আটকে পড়া প্রায় তিন লাখ লোকের অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটির মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান স্টিফেন ও’ব্রায়ান সোমবার বলেছেন, ‘আগস্টের মাঝামাঝি নগরে খাদ্যের মজুত ফুরিয়ে যেতে পারে। হামলা চলতে পারে অনেক চিকিৎসা স্থাপনায়।’এমন প্রেক্ষাপটে করিডরগুলোকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সয়গু ‘বড় ধরনের মানবিক তৎপরতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, সর্বাগ্রে আলেপ্পোর বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হলো এ পদক্ষেপের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, বেসামরিক নাগরিক ও নিরস্ত্র বিদ্রোহীদের জন্য খোলা তিনটি করিডরে চিকিৎসাসেবা ও খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র থাকবে। এই প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে।সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব: আলেপ্পোয় করিডর খুলে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগের মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ তিন মাসের মধ্যে অস্ত্র ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের শর্তে বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দিয়েছেন।গতকাল এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয় বলে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে। অধ্যাদেশকে উদ্ধৃত করে সানা বলেছে, ‘যেসব বিদ্রোহী অস্ত্র বহন করছে...এবং যাদের বিচারের মুখোমুখি করতে খোঁজা হচ্ছে...তারা অস্ত্র ত্যাগ ও আত্মসমর্পণ করলে সাজা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করা এবং দেশটিতে একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালানোর ব্যাপারে সম্মত হন তাঁরা। | 244,526 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ আগস্ট ২০১৩, ১৮:৪৮ | ১৭ আগস্ট ২০১৩, ১৯:৪৪ | রাজনীতি | null | হাসিনার জীবননাশের ষড়যন্ত্র চলছে: শেখ সেলিম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/39950 | আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার জীবননাশের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সম্প্রতি আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের হিট লিস্টে শেখ হাসিনাসহ আরও দুজন মন্ত্রীর নাম থাকা এরই প্রমাণ।’ আজ শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ সেলিম এসব কথা বলেন। শেখ সেলিম বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলবেই। কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এ বিচার থামাতে পারবে না। বাংলার মাটি থেকে সব জঙ্গির মূলোত্পাটন করা হবে।মিথ্যা বলা বিএনপির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, উল্লেখ করে সেলিম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বর্তমান পাসপোর্টের জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট। তাঁর বিয়ের কাবিনেও ১৫ আগস্ট নেই। শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উত্সাহিত করতে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন।’সাবেক মন্ত্রী সেলিম বলেন, ‘এ জাতির কেউ যদি ক্ষতি করে থাকে সে হলো জিয়াউর রহমান। কারণ ৭৫-এর পরে সে জামায়াতকে রাজনৈতিক পুনর্বাসনের মাধ্যমে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নষ্ট করেছিল।’ তিনি বলেন, ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় যখন সিরিজ বোমা হামলা হয়, তখন নিজামী বলেছিলেন, বাংলা ভাই আর জঙ্গিবাদ মিডিয়ার সৃষ্টি। এর মাধ্যমে তাঁরা জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে ছিল বাংলাদেশকে একটি তালেবান ও জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো।আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় গ্রেনেড হামলা করে জঙ্গিগোষ্ঠীরা বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল।’ হামলাকারীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ অন্যরা। ১৭ আগস্ট সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। | 9,760 |
আনন্দ প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০৪ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫০ | আনন্দ,চলচ্চিত্র | 0 | মাটির পরী | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/726378 | মাটির পরী একটি কাল্পনিক নাম। এটি রোমান্টিক অ্যাকশন ছবি। জানালেন ছবির পরিচালক সায়মন তারেক। তবে ছবির গল্প গতানুগতিক প্রেমের না। কমেডির মধ্য দিয়েও যে বর্তমান সমাজের বাস্তব চিত্র বেরিয়ে আসে, তা মাটির পরী ছবিতে দেখা যাবে। নতুন বছরের প্রথম দিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।ছবিতে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক, লামিয়া, মৌমিতা, চাষী নজরুল ইসলাম, সুব্রত, সাদেক বাচ্চু, সাকিল রাজ, রেহেনা জলি প্রমুখ।ছবির জন্য গান লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কবির বকুল ও সুদীপ কুমার। সংগীত করেছেন আহমেদ হুমায়ন। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নীশিতা বড়ুয়া, পুলক, তানজিনা রুমা, স্বাতি, রাদিত আহমেদ হুমায়ন ও মাসুম। মাটির পরী মাল্টিমিডিয়া প্রডাকশন হাউসের ব্যানারে তৈরি হয়েছে। | 188,245 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ আগস্ট ২০১৭, ২২:৩০ | ০৭ আগস্ট ২০১৭, ২২:৩২ | -1 | null | শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছে মেরিডিয়ান কর্তৃপক্ষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1280671 | কারখানা খুলে দেওয়াসহ আন্দোলনরত শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নিয়েছে মেরিডিয়ান ফ্যাশনস লিমিটেডের কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল মঙ্গলবার পোশাক কারখানাটি খুলে দেওয়া হবে।রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কার্যালয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা শুরু হওয়া ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আন্দোলনরত শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয় মালিকপক্ষ। এতে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ এবং বিজিএমইএর প্রতিনিধিরা ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়, তিন দিনের নোটিশ প্রত্যাহার করে কাল মঙ্গলবার পোশাক কারখানাটি খুলে দেওয়া হবে।বৈঠক শেষে বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী তাঁদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহার বন্ধ ও মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া বিষয়টি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ। যদিও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ছাঁটাই করা শ্রমিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা যদি ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে তিন দিনের মধ্যে লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএ বসে নিষ্পত্তি করে দেবে। কাল কারখানা খুলে দেবে মালিকপক্ষ।’এর আগে মেরিডিয়ান গার্মেন্টসের নয়জন শ্রমিককে কয়েক দিন আগে কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করে। সোমবার সকালে শ্রমিকেরা গিয়ে দেখতে পান, তাঁদের কারখানাটি ৯ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মিরপুর থেকে কারাখানাটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হচ্ছে বলেও শ্রমিকদের মধ্যে গুজব ছড়ায়। কারখানার শ্রমিকদের বেতন প্রতি মাসে ১২ তারিখে দেওয়া হতো। এসব কারণে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা মিরপুর ১ নম্বরের কিয়াংসি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের সামনের বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। তাঁরা আশপাশের অন্যান্য পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েকটি পোশাক কারখানার সামনে ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা মিরপুর ১ নম্বরে চিড়িয়াখানা সড়ক অবরোধ করেন। | 331,101 |
বিশাল বাংলা ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:১৩ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:১৪ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | তরুণীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/312280 | সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ও নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় গতকাল শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই দিন নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর (২৫) লাশ পাওয়া যায়।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:সিরাজগঞ্জ: সকালে রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী গ্রামের একটি ডোবার মধ্যে ওই যুবকের (২৬) লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের গলায় রশি দিয়ে জড়ানো এবং পেটে ও বুকে আঘাতের চারটি চিহ্ন রয়েছে।রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে।নাটোর: সকাল ১০টার দিকে সিংড়া উপজেলার ইটালি গ্রামের রাস্তার পাশের ডোবায় বোরকা পরা এক তরুণীর লাশ ভাসতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সিংড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ওই তরুণীর শরীরে, গলায় ও বুকে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। তাঁর লাশ শনাক্ত করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণীকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে।আদমদীঘি (বগুড়া): সকালে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়নের কদমতলী এলাকায় ওই যুবকের (৩০) লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। | 91,255 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:০৩ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:০৩ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর | 0 | আলোকচিত্রী জুয়েলের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/779731 | অবিলম্বে সাংবাদিক জুয়েল শীলের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।বক্তারা বলেন, ‘হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলামসহ অন্যরা এখনো বিভিন্ন মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে যাচ্ছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা এমন আস্ফালন করছে। আমরা অবিলম্বে রাশেদসহ তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও একই দাবিতে সভা আহ্বান করা হয়েছে।চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিইউজের সভাপতি এজাজ ইউসুফী। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সহসভাপতি শহীদ উল আলম, প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার প্রমুখ। | 205,057 |
নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি, বগুড়া | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ আগস্ট ২০১৩, ০২:০৩ | ০২ আগস্ট ২০১৩, ০২:০৪ | বগুড়া,গাবতলী,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ | 0 | বগুড়ায় দুই নিরাপত্তাকর্মী খুন, ১০ লাখ টাকা লুট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/33512 | বগুড়ায় বহুজাতিক ওষুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে গত বুধবার রাতে দুজন নিরাপত্তাকর্মী খুন হয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির লকার কক্ষের আলমারি ও হিসাবকক্ষের সিন্দুক ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে। ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্রে টাকা লুটের দৃশ্য ধরা পড়েছে। শহরের সূত্রাপুর এলাকার ডা. ইসাহাক আলী লেনের একটি চারতলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ওই দুই নিরাপত্তাকর্মীর নাম তাজুল ইসলাম (৩০) ও রাসেল মিয়া (২৫)। তাজুলের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার আমতলী পাড়া গ্রামে এবং রাসেলের বাড়ি গাইবান্ধা সদরের পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামে। ওই বাসার প্রধান ফটকের পাশে নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য নির্ধারিত কক্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁরা খুন হন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁরা সিকিউরেক্স নামের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মী। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান নোভারটিস ও জিএসকে (গ্ল্যাক্সো সিঞ্চথলাইন) কোম্পানির ওষুধ বিপণন করে ‘জুয়েলিগ ফার্মা’। শহরের সূত্রাপুরের ওই চারতলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় প্রতিষ্ঠানটির আঞ্চলিক বিপণন কার্যালয়।জুয়েলিগ ফার্মার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাসুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে রমজান আলী নামের একজন নিরাপত্তাকর্মী মুঠোফোনে দুজন নিরাপত্তাকর্মী খুনের খবর আমাকে দেন। পরে কার্যালয়ে গিয়ে দেখি, লকার কক্ষের আলমারি ও হিসাবকক্ষের সিন্দুক ভেঙে অন্তত ১০ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে।’পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে খুনিদের ব্যবহূত দস্তানা, চাকুসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। লকার কক্ষের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা চিত্রে দেখা গেছে, সিকিউরেক্স কোম্পানির নির্ধারিত খাকি পোশাক ও কালো ক্যাপ পরে দুজন ব্যক্তি ওই কক্ষে ঢুকে আলমারি ভেঙে টাকা লুট করতে থাকেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বপরিচিত কেউ ওই দুই কর্মীকে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে পরে খুন করেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ সহিদ আলম জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিকিউরেক্স কোম্পানির বগুড়ার ব্যবস্থাপক গুলজার হোসেন, সুপারভাইজার ওয়ারেস আলী ও নিরাপত্তাকর্মী রমজান আলীকে আটক করা হয়েছে। | 6,892 |
কলকাতা প্রতিনিধি | entertainment | বিনোদন | ০৭ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৩ | ০৭ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৩ | বিনোদন,চলচ্চিত্র | 0 | জন্মদিনে সুচিত্রা সেনের ছবিতে গোলাপের মালা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/186340 | মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৮৪তম জন্মদিন ছিল গতকাল ৬ এপ্রিল। কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তাই তাঁর এবারের জন্মদিনটি ঘিরে পরিবারে সবার মধ্যেই ছিল মিশ্র অনুভূতি। এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সুচিত্রা সেনের মেয়ে মুনমুন সেন। মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে গত শনিবার রাতেই তিনি বাঁকুড়া থেকে চলে আসেন কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাসভবনে।মুনমুন সেন আগেই জানিয়েছিলেন, জন্মদিনে মাকে তিনি পায়েস রান্না করে খাওয়াতেন। হাতে তুলে দিতেন একগুচ্ছ লাল গোলাপ।গতকাল বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে সুচিত্রা সেনের বাসায় অনাড়ম্বরভাবে পালন করা হলো তাঁর জন্মদিন। সুচিত্রা সেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও তাঁকে স্মরণ করতে এসেছিলেন নিকটজনেরা। মুনমুন সেন পায়েস রান্না করেন। মায়ের সাদাকালো ছবিতে পরিয়ে দেন লাল গোলাপের মালা।মুনমুন সেন বলেন, ‘মৃত্যুর আগে মা আমার কাছে একটি লাল গোলাপ চেয়েছিলেন। লাল গোলাপ তিনি খুব পছন্দ করতেন। কিন্তু সেই গোলাপ নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই চিরতরে চলে যান মা।’ | 64,142 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জুলাই ২০১৬, ১৪:২৭ | ১৭ জুলাই ২০১৬, ১৪:৫৭ | সরকার | null | সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/917068 | জঙ্গিবাদ দমনে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা সব ধরনের সহযোগিতা দেবেন। তবে এ ধরনের বিষয়ের জন্য আইনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন, প্রতিরোধ ও চেতনা গড়ে তুলতে হবে। তিনি শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং জনগণের প্রতি সহনশীল এমন মানুষ গড়ে তুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এসব বিষয় দমনের জন্য প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করা হবে যাতে জঙ্গিবাদে কেউ সম্পৃক্ত হতে না পারে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা এই মতবিনিময় সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক, উপাচার্য ও কয়েকটি ইংরেজিমাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, র্যাবের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: সরকারের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সভা শুরু | 240,742 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৩৮ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৩৯ | খেলা | 0 | ফেড কাপ টিটি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/706198 | পল্টন উডেনফ্লোর জিমনেসিয়ামে কাল ফেডারেশন কাপ টিটির পুরুষ বিভাগে পাললিক গ্রুপ বাগেরহাটকে, টিটি একাডেমি চট্টগ্রামকে, এএনএইচ স্ট্রাইড স্কুলকে ও সেনাবাহিনী নড়াইলকে হারিয়েছে। মহিলা দলগত বিভাগে সেনাবাহিনী স্ট্রাইড স্কুলকে, ঢাকা পটুয়াখালীকে ও স্ট্রাইড লাল দল বাগেরহাটকে হারিয়েছে। কালকের সব ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছে ৩-০ সেটে। | 181,375 |
-1 | education | শিক্ষা | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০৩ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০৩ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি ২য় পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/330046 | Right form of verbপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি ২য় পত্রের ৮ নং প্রশ্ন Right form of verb নিয়ে আলোচনা করা হলো। এ প্রশ্নে ৮টি শূন্যস্থান পূরণের জন্য ৪ নম্বর থাকবে।Complete the following text with suitable verbs in the list with their right form. 0.5×8=414pay, have, become, be, make, quarrel, get, tryThere was an old farmer. He (a)__four sons. They were all grown up. But they had no good relation with one another. They (b)__disobedient and always (c)__among themselves. The old man was very much dissatisfied with them and (d)__to make them united. But they (e)__any heed to him. As he (f)__old and weak day by day, he (g)__very anxious about their future. At last he (h)__a plan to teach his sons how to live in unity.Answer(a) had; (b) were; (c) quarreled; (d) tried; (e) didn't pay; (f) was getting; (g) became; (h) made.15catch, kill, began, play, wake, sleep, beg, runOne day a lion (a)__in its cave. A mouse (b)__ nearby. While playing, it by chance (c)__over the lion's body. At this, the lion (d)__up and became very angry. With a terrible roar he (e)__the mouse and said, "You tiny creature, how dare you tease me? I (f)__you." The mouse (g)__to tremble in fear and (h)__for its life.Answer(a) was sleeping; (b) was playing; (c) ran; (d) woke; (e) caught; (f) will kill; (g) began; (h) begged.16try, give, lay, become, draw, crawl, think, dropOne day the king (a)__in the cave. He (b)__and thought over his misfortune. At that moment, he found a spider (c)__to reach the ceiling. His attention (d)__to the repeated efforts of the spider. It was trying hard again and again. The spider (e)__ up a few inches and then (f)__on its silken thread. But it (g)__give up its attempts. It tried again and again and in the seventh time it (h)__successful.Answer(a) was lying; (b) thought; (c) trying; (d) was drawn; (e) crawled; (f) dropped; (g) did not; (h) became.বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | 96,685 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ অক্টোবর ২০১৫, ০১:২৬ | ০৩ অক্টোবর ২০১৫, ০১:২৭ | যুক্তরাষ্ট্র | null | টাইটানিকের খাদ্যতালিকা! | http://www.prothom-alo.com/international/article/644749 | টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য সরবরাহ করা দুপুরের খাবারের একটি তালিকা নিলামে ৮৮ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। নিউইয়র্কে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান অকশনারস লায়ন হার্ট অটোগ্রাফ জানিয়েছে, ওই খাদ্যতালিকাটি প্রথম শ্রেণির এক যাত্রী সংগ্রহ করেছিলেন। গত বুধবার সেটি ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করার জন্য এক ব্যক্তি কিনে নেন। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিলের ওই খাদ্যতালিকায় রয়েছে গ্রিল খাসির চপ, কাস্টার্ড পুডিং, কর্নড বিফ, মাছ, আপেলের পেস্ট্রি, চিজ প্রভৃতি। ধারণা করা হয়, ওই তালিকাটি ছিল টাইটানিকে থাকা তিন বা চারটি খাদ্যতালিকার একটি।রয়টার্স | 173,223 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মে ২০১৪, ০২:০১ | ১৮ মে ২০১৪, ০২:০২ | রাজধানী (জাতীয়),রাজনীতি | null | তাঁরা ‘আহাম্মকের দল’ বললেন আশরাফ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/219115 | ভারতের নির্বাচনে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় সে দেশে ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বাংলাদেশে যারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে তাদের ‘আহাম্মকের দল’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা কারও লেজও না, কেউ আমাদের মুনিবও না। ভারতের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আছে, সেটাই থাকবে।’গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন৷ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বাংলাদেশে উল্লসিতদের সমালোচনা করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আহাম্মকের দল। তাঁদের ন্যূনতম জ্ঞান নেই। না বুঝেই টক শোতে কথা বলছেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। যাঁরা বলেন মোদি এসেছে, আওয়ামী লীগ থাকবে না, তাঁদের বলতে চাই, যাঁদের গণতন্ত্র সম্পর্কে সামান্য ধারণা আছে, ফরেন পলিসি সম্পর্কে জানেন, তাঁরা কখনো এটা বলতে পারেন না।’আওয়ামী লীগের নেতাদের লোভ-লালসা ও ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, এখন অনেকের ব্যাপারে অনেক কথা পত্রিকায় আসে, এটা সুখবর নয়। বঙ্গবন্ধু সৈনিকদের এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া উচিত না, যাতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। কারণ ক্ষমতা চিরস্থায়ী না।সৈয়দ আশরাফ দলীয় নেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘এই যে দেখেন ভারতের লোকসভা নির্বাচন। যে কংগ্রেস ছিল নেহরু, ইিন্দরা গান্ধীর দল তাদের কী অবস্থা৷ যত ভালো কাজই করেন না কেন, জনগণের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে তারা এর জবাব দেবে।’আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির উল্লাস দেখে মনে হয়েছে, বিজেপি নয় যেন বিএনপি বিজয়ী হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক হয়। দলের সঙ্গে দলের সম্পর্ক হয় না। আমরা আশা করি, বিজেপির শাসনামলে সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তা চুক্তি হবে এবং ভারতের বাজারে আমাদের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার অব্যাহত থাকবে।’ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, মাহবুব উল আলম হানিফ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ৷ | 74,132 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জুন ২০১৭, ০১:৩৬ | ০৬ জুন ২০১৭, ০১:৩৬ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | রমজানে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে ঢাকার যাত্রীরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1206996 | পবিত্র রমজান মাসে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকার যাত্রীরা। সিএনজিচালিত অটোরিকশার অধিকাংশই মিটারের বদলে চুক্তিতে চলাচল করছে।বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপকমিটির তিনটি দল গত দুই দিন নগরে যাত্রী ভোগান্তি ও ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ করে। ৩১৩টি বাস ও ৩৮৬ জন বাসযাত্রী, ১৬০টি অটোরিকশা, ৫৬ জন অটোরিকশার যাত্রী ও ট্যাক্সিক্যাবের ৮৮ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নগরে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের প্রায় ৮৮ শতাংশ সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে রাখে। এতে মাঝপথের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। এসব বাস সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে কোম্পানি-নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এতে নিম্ন আয়ের লোকজনের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। যাত্রীদের বাদুরঝোলা হয়ে অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, নগরে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৯২ শতাংশ চুক্তিতে চলাচল করছে। ৯৮ শতাংশ অটোরিকশা মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া বা বকশিশ দাবি করছে। আগে ১০ টাকা বকশিশ চাইলেও রমজানে ২০-৩০ টাকা বকশিশ দাবি করা হচ্ছে। যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হন না ৮৬ শতাংশ অটোরিকশাচালক।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যাত্রাবাড়ী, পোস্তগোলা, শাহবাগ, ফার্মগেট, মহাখালী, আগারগাঁও, ধানমন্ডি, বনানী, বারিধারাসহ নগরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকার রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ট্যাক্সিক্যাবের দেখা মিলছে না।প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যবেক্ষণকালে ৭৬ শতাংশ যাত্রী প্রচলিত গণপরিবহনব্যবস্থার ওপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে। ৮৮ শতাংশ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হয়। ৯২ শতাংশ যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। ৩৬ শতাংশ যাত্রী চলন্ত বাসে ওঠানামা করতে বাধ্য হয়। সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ৩৪ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়। হয়রানির শিকার হলেও অভিযোগ কোথায় করতে হয়, তা জানে না ৯০ শতাংশ যাত্রী। তবে ৬৮ শতাংশ যাত্রী বলেছে, অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না বলেই অভিযোগ করে না। | 321,819 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২০ নভেম্বর ২০১৩, ১৬:১৩ | ২০ নভেম্বর ২০১৩, ১৬:১৫ | আফ্রিকা | null | বিষাক্ত বর্জ্যের হুমকিতে ২০ কোটি মানুষ | http://www.prothom-alo.com/international/article/78232 | সারা বিশ্বে ২০ কোটির বেশি মানুষ বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। ব্ল্যাকস্মিথ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড গ্রিন ক্রসের পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।৪৯টি দেশের তিন হাজারের বেশি জায়গায় এ সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষা পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব এলাকার মানুষ এমন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে, যা ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার মতো গুরুতর। ব্ল্যাকস্মিথ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক এবং নিউইয়র্কের সিটি ইউনির্ভাসিটির পাবলিক হেলথের অধ্যাপক জ্যাক ক্যারাভানুস বলেন, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যা এখনো পরিমাপ করা যায়নি।’ঘানার রাজধানী আক্রার আগবুব্লুসাই ডাম্পিং ইয়ার্ড হচ্ছে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি দূষিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। গবেষকেরা জানান, সরকারের কাছে এ তথ্য লুকানো নয় বরং তারা এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে।ক্যারাভানুস বলেন, আগবুব্লুসাইকে বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক বর্জ্যের আস্তাকুঁড়েতে পরিণত করা হয়েছে, যা পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।দ্বিতীয় বৃহত্তম ইলেকট্রনিকস বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ এলাকা হলো পশ্চিম আফ্রিকার ঘানা। দেশটি বিদেশ থেকে বিশেষ করে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্রতিবছর ব্যবহূত পুরোনো ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানি করে থাকে। বছরে এর পরিমাণ প্রায় দুই লাখ ১৫ হাজার টন। তা থেকে এক লাখ ২৯ হাজার টন বর্জ্য উত্পন্ন করে। গবেষণা প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, ২০২০ সাল নাগাদ ঘানার এ আমদানির পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে।গবেষণায় দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হিসেবে রয়েছে ইউক্রেনের চেরোনোবিল। এরপরই রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সীতারাম নদী অববাহিকা। দূষিত বর্জ্যের কারণে বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি স্থানের তালিকায় আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার তিনটি স্থান রয়েছে। রয়েছে লাতিন আমেরিকাও।এসব স্থান থেকে বাতাসে, পানিতে ও মাটিতে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে। এতে এসব এলাকার শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।জ্যাক ক্যারাভানুস বলেন, অনেক জায়গায় ভূমির এমন ক্ষতিসাধন হয়েছে, যা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই একমাত্র উপায় হচ্ছে সেখানকার লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এবং দূষণস্থলটি সিল করে দেওয়া।ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ পরিবেশদূষণ। | 29,223 |
পান্না বালা, ফরিদপুর ও কামরান পারভেজ, ময়মনসিংহ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ অক্টোবর ২০১৩, ০২:২৮ | ২০ অক্টোবর ২০১৩, ১২:০০ | বিতর্ক উৎসব | 0 | পেশির চেয়ে যুক্তির শক্তি বেশি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/54545 | বিতর্কচর্চা করলে আত্মশুদ্ধি ঘটিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া যায়। পেশিশক্তির চেয়ে যুক্তির শক্তি অনেক বেশি শাণিত। গতকাল বুধবার ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত বিতর্ক উৎসবে অতিথিরা এসব কথা বলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে পেপসোডেন্ট-প্রথম আলো জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০১৩। অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় বিতর্ক উৎসব।ফরিদপুরসকাল সাড়ে নয়টায় ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলা রানী সরকার। তিনি বলেন, বিতর্ক করলে নিজেকে সঠিকভাবে চেনা যায়। বিতর্কচর্চা করলে আত্মশুদ্ধি ঘটিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিতর্কবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পরিচালনা করেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান। তিনি বলেন, বিতর্ক একটি নান্দনিক বাকশিল্প। এই শিল্পের প্রসার ঘটানোর জন্যই জাতীয় বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক শেখ মোতালেব হোসেন, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক চৈতন্য চন্দ্র দাস, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক তালুকদার আনিসুল ইসলাম, সরকারি ইয়াছিন কলেজের প্রভাষক সরাজ চক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর ডিবেট ফোরামের শান্তনু ভট্টাচার্য প্রমুখ। বিতর্কে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় রানার্সআপ হয়। সেরা বিতার্কিক হয়েছে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাহজাবিন রিসা। উৎসবে ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বিদ্যালয়গুলো হলো: ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ফরিদপুর জিলা স্কুল, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মধুখালী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, এমএন অ্যাকাডেমি, ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, মুসলিম মিশন দাখিল মাদ্রাসা, কাজী জেবুন্নেসা উচ্চবিদ্যালয়, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও বালিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।ময়মনসিংহসকাল নয়টা ৩০ মিনিটে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুছ ফারুকী। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মামুন রেজা বলেন, পেশিশক্তির চেয়ে যুক্তির শক্তি অনেক বেশি শাণিত। উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারী আধ্যাপক ভাস্কর সেনগুপ্ত, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরুজ জাহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাকসুদা পারভীন, ফুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুন নাহার, মহাখালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সালাউদ্দিন রাজীব, সুতিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন প্রমুখ। দিনব্যাপী বিতর্ক শেষে বিজয়ী হয় ময়মনসিংহ জিলা স্কুল এবং রানার্সআপ হয় নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। সেরা বিতার্কিক হয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ চরনিখলা উচ্চবিদ্যালয়ের তানজিলা আক্তার। বিতর্কের বিরতিতে অতিথিদের অংশগ্রহণে এক আকর্ষণীয় রম্য বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার ১৫টি স্কুল অংশ নেয়। স্কুলগুলো হচ্ছে: ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুল, সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়, বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, ইশ্বরগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চরনিখলা উচ্চবিদ্যালয়, প্রগেসিভ মডেল স্কুল, পুলিশ লাইন উচ্চবিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চবিদ্যালয়, গভ ল্যাবরেটরি উচ্চবিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাইস্কুল, লেতু মণ্ডল উচ্চবিদ্যালয়, আঞ্জুমান আর্দশ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরপুর টি আমিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়। জামালপুর: পেপসোডেন্ট-প্রথম আলো জাতীয় স্কুল বিতর্ক উত্সবের জামালপুর অঞ্চলের উত্সব গতকাল বুধবার জামালপুর জিলা স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জামালপুর ও শেরপুর থেকে নয়টি বিদ্যালয় অংশ নেয়।সকাল সাড়ে ১০টায় জামালপুর বন্ধুসভার পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উত্সব শুরু হয়। এরপর জামালপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার উত্সবের উদ্বোধন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জামালপুর বন্ধুসভার সহসভাপতি মাসুদ রানা ।‘ইন্টারনেট মানুষের অবসর কেড়ে নিয়েছে’, ইন্টারনেটের কুফল সম্পর্কে এমন যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে উত্সবে পক্ষ-বিপক্ষ দলের বিতার্কিকেরা মেনে ওঠে। উত্সবে জামালপুর জিলা স্কুল চ্যাম্পিয়ন ও জামালপুর উচ্চবিদ্যালয় রানার্সআপ হয়। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হয় জামালপুর জিলা স্কুলের দলনেতা যোবায়ের হাসান। উত্সব পরিচালনা করেন জামালপুর বন্ধুসভার সভাপতি দীপ সরকার। | 23,143 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জুলাই ২০১৮, ২৩:২৮ | ২২ জুলাই ২০১৮, ১৫:২৩ | নির্বাচন,রাজনীতি,বিএনপি,রাজশাহী সিটি করপোরেশন,বরিশাল সিটি করপোরেশন,সিলেট সিটি করপোরেশন | null | আ.লীগের উন্নয়নের প্রচার, বিএনপির মাঠে থাকার লড়াই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1526241 | বিএনপি জিতলে নগরের উন্নয়ন হবে না—এই প্রচার সামনে নিয়েই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। খুলনা ও গাজীপুরে এই প্রচার কাজে দিয়েছে বলে মনে করছে দলটি। তবে বিএনপি মনে করছে, খুলনা ও গাজীপুরে সরকারি প্রশাসন ব্যবহার করে বিএনপিকে মাঠছাড়া করা হয়েছে। রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটেও একই ভয় তাদের মধ্যে প্রবল। এ জন্য খুলনা ও গাজীপুরের পরিস্থিতি এড়াতে এজেন্ট বাছাই ও ভোটকেন্দ্র পাহারায় নতুন কৌশলের খোঁজে আছে বিএনপি।আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু না হলেও এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা নানা কায়দায় মাঠে নেমে পড়েছেন। তাঁরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে, সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, পেশাজীবী সংগঠন ও দলীয় নানা ফোরামের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে এখনো খুব একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না।আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। রাজশাহী ও সিলেটে দুই দলের চারজন সাবেক ও সদ্য সাবেক মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বরিশালেও দুই দলের প্রার্থীরা প্রভাবশালী। ফলে জয় দেখছে দুই দলই। ভোটারদেরও ধারণা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রধান দুই দলের মধ্যেই।৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ করার দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৯ জুলাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ ১০ জুলাই, এরপর থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।২০১৩ সালের জুনে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে একযোগে ভোট হয়। চারটিতেই বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হন। এরপর জুলাইতে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএনপির প্রার্থীর কাছে হেরে যান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এই পাঁচ সিটির ভোটে জয়কে নিজেদের জনপ্রিয়তা হিসেবে দেখায় বিএনপি। যদিও দলটি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে।এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি ভোটের জন্য প্রস্তুত হয়। সরকার চাইলে একযোগেই সব সিটিতে ভোট করতে পারত। তবে এবার ভোট হচ্ছে ভেঙে ভেঙে। প্রথমে ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনার ভোটের দিন নির্ধারণ করা হয়। আইনি জটিলতায় গাজীপুরে ভোট আটকে গেলে ২৬ জুন ভোট গ্রহণ হয়।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, একসঙ্গে অনেকগুলো সিটিতে ভোট হলে সরকারি দলে থাকার যে সুবিধা, এর পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার করা যায় না। এ জন্যই এবার একসঙ্গে অনেকগুলো সিটি করপোরেশনে ভোট চায়নি আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, খুলনা ও গাজীপুরে প্রশাসনের চাপে বিএনপি মাঠছাড়া হয়ে গেছে। ফলে অনায়াসে জয় পেয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। এই কৌশল থেকে আসন্ন তিন সিটির ভোটেও বিএনপিকে সংঘবদ্ধ শক্তি হিসেবে মাঠ দখলের সুযোগ দেওয়া হবে না। তবে কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। তিন সিটিতে জয় ছাড়া কিছু ভাবছে না আওয়ামী লীগ।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ফারুক খান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বায়বীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা উন্নয়নের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। মানুষ বুঝে গেছে, উন্নয়ন করার সক্ষমতা আওয়ামী লীগেরই আছে। খুলনা ও গাজীপুরে তা প্রমাণিত। আসন্ন তিন সিটিতেও তা-ই হবে।অন্যদিকে রাজশাহী বিএনপি বলছে, তারা খুলনা ও গাজীপুরের মতো হতে দেবে না। ভোটের দুই দিন আগেই এজেন্টদের পরিচয় উন্মুক্ত করে দেবে। প্রয়োজনে এজেন্টদের পরিচয় নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কাছেও দেওয়া হবে। তবে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার ও নতুন করে মামলা দেওয়ার আতঙ্ক আছে তারা। সিলেটে বিশ্বস্ত ও সাহসী এজেন্ট খোঁজা হচ্ছে বলে বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন। বরিশাল বিএনপির নেতারা বলছেন, সিটি নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের মেয়াদ থাকবে দুই থেকে আড়াই মাস। এটাই ভোটার ও দলের নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। যাতে কেন্দ্রে শক্তি ধরে রাখেন। বিএনপির ধারণা, নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকতে পারলে এবং ভোটাররা ভোট দিতে পারলে তিন সিটিতেই তাদের জয় হবে।সিলেট-রাজশাহীতে চার মেয়রের লড়াইরাজশাহী ও সিলেটে অনানুষ্ঠানিকভাবে এক বছর আগেই মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঠিক করে রাখা হয়েছে। রাজশাহীর সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তা জানিয়েও দেন। এই দুই সাবেক মেয়র নিজ নিজ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য। সিলেটে একাধিক প্রার্থী আগ্রহ দেখালেও রাজশাহীতে অন্য কেউ চেষ্টাও করেননি। ক্ষমতাসীন দলের নেতা, সাংগঠনিকভাবে দায়িত্বশীল পদে থাকা এবং আগে থেকেই দলীয় মনোনয়নের সবুজ সংকেতের প্রভাব প্রচারেও পড়েছে। বিএনপির চেয়ে অনেক আগেই অনানুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন এই দুই প্রার্থী।অন্যদিকে বিএনপি এই দুই সিটিতে দলের দুই সদ্য সাবেক মেয়রকেই প্রার্থী করেছে। সিলেটে আরিফুল হক ও রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এই দুজনও নিজ দলের মহানগর সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এই দুজনের আরও মিল হলো, তাঁরা মেয়র হয়ে স্বস্তিতে কাটাতে পারেননি, কারাগারে বন্দী ও আদালতের বারান্দায় দৌড়াতে হয়েছে বড় একটা সময়।বিরোধী দলের প্রার্থী মেয়র হওয়ার কারণে নগরের মানুষ উন্নয়নবঞ্চিত হয়েছে—এই প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে রাজশাহীতে তা বেশ জোরালো। কারণ, খায়রুজ্জামান রাজশাহীর মেয়র থাকা অবস্থায় চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। আর বদরউদ্দিন কামরান সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা মিলে সিলেট নগরের দায়িত্বে ছিলেন টানা ১৮ বছর।সিলেট সদর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নিজের নির্বাচনী এলাকা বলে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। আর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মেয়রের একটা কর্ম সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। ফলে আরিফুল হক এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করতে পেরেছেন। তবে গলার কাঁটা হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগর আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রার্থী হিসেবে আছেন। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। অবশ্য এখনো তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় আছে।ভোটার এবং দুই প্রধান দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, এই দুই সিটির মূল চার প্রার্থীরই সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী। পরিচিতিও আছে বেশ। ফলে সাবেক ও সদ্য সাবেক চার মেয়রের জমজমাট লড়াই হবে রাজশাহী আর সিলেটে।বরিশালে অভিজ্ঞ বনাম নবীনবরিশালে বিএনপির অবস্থান বরাবরই শক্ত। দলটির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে কখনোই হারেননি। বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র তিনি। তিনি সদর আসন থেকে তিনবার সাংসদ হয়েছেন। দলের মহানগর সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবও। যেকোনো বিবেচনায় সরোয়ার শক্ত প্রার্থী। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সন্তান। পুরো বরিশাল বিভাগের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর প্রভাব রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রচারের কেন্দ্রে আছে উন্নয়ন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হলে উন্নয়ন হবে—এটাই বোঝাতে চাইছে সরকারি দল। প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ মেয়র থাকা অবস্থায় প্রচুর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। সদ্য সাবেক মেয়র বিএনপির আহসান হাবিব কামাল নগরের উন্নয়ন করতে পারেননি—এই বাস্তবতা আওয়ামী লীগের প্রচারে জোর হাওয়া দিচ্ছে।বরিশাল সিটিতে ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৩১ হাজার নতুন ভোটার। আওয়ামী লীগ নবীন প্রার্থী দিয়ে এই নতুন ভোটারদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে সাংগঠনিক দক্ষতা আর অতীতে নির্বাচনী রাজনীতির অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠে আছেন বিএনপির প্রার্থী। সবাই বলছে, নবীন আর প্রবীণ প্রার্থীর মধ্যেই শক্ত লড়াই হবে।এর বাইরে সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত সব কটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভোট পেয়েছে। কিছু স্থানে তাদের অবস্থান আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পরই। বরিশালে তাদের প্রার্থী ওবায়দুর রহমান। বরিশালেরই চরমোনাই পীর এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা। ফলে সিটি নির্বাচনে তাদের একটা প্রভাব থাকবে বলেই মনে করছেন ভোটাররা। ২০০৮ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে তারা তৃতীয় অবস্থানে ছিল।সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচনের কয়েকটি বৈশিষ্ট দেখা গেছে। এগুলো হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে বিরোধীদের মাঠছাড়া করা, বিএনপির পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোট কেন্দ্রে জবরদস্তি, আওয়ামী লীগ না জিতলে উন্নয়ন হবে না—এই প্রচার এবং নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার ভূমিকা। কমিশন নিজের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করলে সরকারি দল অন্য সুবিধাগুলো নিতে পারত না। তাই আসন্ন তিন সিটি নির্বাচন কেমন হবে, তা নির্ভর করছে কমিশনের ভূমিকার ওপর। | 369,352 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৫ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৬ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | হাটখোলা পেয়াদাপাড়ার পানি পানের অনুপযোগী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1081605 | হাটখোলা আনসার ক্যাম্পের পেছন দিকে পেয়াদাপাড়া এলাকায় ওয়াসার পানিতে আবার দুর্গন্ধ দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন এবং বালুর মাঠ পানির পাম্প থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে ভিড় করছে। বালুর মাঠে মাঝরাতেও পানির জন্য লাইন দিচ্ছে মানুষ।গতকাল মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে পানি নিয়ে ভোগান্তির এ তথ্য জানা যায়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে দুই হাতে দুটি পানির জার নিয়ে পেয়াদাপাড়ার পেছন দিক (ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের বিপরীত দিকে) থেকে বেরোচ্ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ বেলাল হোসেন। বললেন, আগে বাসাবোতে থাকতেন। নাতনিকে এখানে (টিকাটুলী) কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর পর পেয়াদাপাড়ায় বাসা ভাড়া করেছেন, দুই মাস হলো। আসার পর থেকে খাবার পানি নিয়ে কষ্ট করছেন। সকালে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে পানি সংগ্রহ করেন, সন্ধ্যায় বালুর মাঠ পানির পাম্প থেকে। সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এখন এভাবে পানি সংগ্রহ করাই যেন তাঁর চাকরি। কিন্তু এভাবে পানি সংগ্রহের বিষয়টি প্রতিদিন তাঁর মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে।রামকৃষ্ণ মিশনের ফটকের ভেতরে ডান পাশে একটি পানির কল (ট্যাপ)। সেখান থেকে অনেকেই পানি সংগ্রহ করেন। পাঁচ লিটার থেকে ২০ লিটারের জার, কলসি—সবই নিয়ে আসে মানুষ। বেলাল হোসেন বলেন, গন্ধ থাকায় বাসায় আসা পানি ফুটিয়েও পান করা যায় না। রামকৃষ্ণ মিশনের গভীর নলকূপের পানি ফোটাতে হয় না, সরাসরিই পানের যোগ্য।রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী গুরুসেবানন্দ প্রথম আলোকে বলেন, সেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে এখানকার বিশুদ্ধ জল এলাকাবাসীকে বিনা মূল্যে সংগ্রহ করতে দেওয়া হয়। সকাল সাতটা থেকে নয়টা এবং বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এখান থেকে জল সংগ্রহ করা যায়।রামকৃষ্ণ মিশন থেকে কিছু দূরে গোপীবাগ (বালুর মাঠ) পানির পাম্প। পাম্পের সামনে কল থেকে পানি পড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারা দিন এমনকি গভীর রাতেও এখানে পানি নিতে আসেন চারদিকের মানুষ। গতকাল বিকেলে দেখা গেল, পানির পাত্র পেতে রেখেছেন অনেকেই। বেশির ভাগই পেয়াদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আখতার হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, বাসার কলে ওয়াসার যে পানি আসে, সে পানিতে অনেক দিন ধরেই গন্ধ ছিল। মাঝে কিছুটা ভালো হলেও এখন রীতিমতো দুর্গন্ধ। ফোটালেও গন্ধ যায় না। ঝাঁজালো পানি, চোখমুখ ধুলে অস্বস্তি লাগে। তিনি বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন আর বালুর মাঠের পাম্প না থাকলে এলাকাবাসী খুবই সমস্যায় পড়তেন।দেখা গেল, কিশোর থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সব বয়সের মানুষের ভিড়। পেয়াদাপাড়ার কিশোর সুমন নিয়ে এসেছে দুই লিটারের বোতল। সে জানায়, বাসা থেকে তার বাবা, কাকা এবং সে যখনই বের হয়, তার মা হাতে বোতল (পানির পাত্র) ধরিয়ে দেন আসার পথে জল নিয়ে আসতে। শুধু সুমন নয়, পেয়াদাপাড়ায় পানির দুর্গন্ধের জন্য প্রায় প্রতি বাড়ির বাসিন্দাকেই এ ধরনের পাত্র হাতে নিয়ে বেরোতে হয়।বালুর মাঠ পাম্পে কর্তব্যরত ফোরকান বলেন, এখান থেকে যেকোনো সময় পানি সংগ্রহ করা যায়। কখনোই বাধা দেওয়া হয় না। পাম্পে উপস্থিত ওয়াসার অপর এক কর্মী এই প্রতিবেদককে বলেন, পাম্প থেকে ভালো পানি উত্তোলন করা হলেও সরবরাহ পাইপ অনেক পুরোনো। অনেক অংশেই ফুটো হয়ে গেছে। তাই পানিতে গন্ধ। কিন্তু কোথায় ফুটো তা বের করতে হলে রাস্তা কেটে খুঁজতে হবে। তা এখন সম্ভব নয়। | 293,760 |
ময়মনসিংহ অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:৩০ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:৪৭ | গণিত উৎসব,ময়মনসিংহ | 0 | ময়মনসিংহে চলছে গণিত উৎসব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1395441 | ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব। আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাইস্কুলে আনুষ্ঠিকভাবে গণিত উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।ময়মনসিংহ বন্ধুসভার বন্ধুদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করা হয়।জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাইস্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস মাহফুজুল বারী, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ময়মনসিংহ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন মাহমুদ, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ভেন্যু প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ রায়হান উদ্দিন।অধ্যাপক মাহফুজুল বারী বলেন, এই ধরনের আয়োজন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে গণিতমুখী করছে। গণিতের ভয়কে দূর করছে।গণিত অলিম্পিয়াডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত বলে জানান ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে সোয়া ঘণ্টার পরীক্ষা। ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার জেলার মোট এক হাজার শিক্ষার্থী গণিত উৎসবে অংশ নিচ্ছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে গণিত উৎসবে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন প্রথম আলোর ময়মনসিংহ বন্ধুসভার বন্ধুরা। | 349,369 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৪ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৪০ | ড. কামাল হোসেন,রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,বিএনপি | null | ঐক্যফ্রন্টের উল্টো সুর যুক্তফ্রন্টের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1564146 | সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন না পেছানোর দাবি জানিয়েছে। যুক্তফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছে, অকারণে তফসিল পেছানো ঠিক হবে না।আজ যুক্তফ্রন্টের নেতা ও বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল দেখা করে ইসিকে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে নির্বাচন না পেছানোর কথা উল্লেখ করে বলা হয়, নির্বাচনের তফসিল অকারণে বিলম্ব হলে জাতির মধ্যে সংশয়, বিভ্রান্তি ও হতাশার সৃষ্টি হবে, যা কোনো ক্রমেই কাম্য নয়।এর আগে গতকাল সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল তফসিল পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে। একপর্যায়ে সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনাও ঘটে। ইসি ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছিল।ইসির সঙ্গে দেখা শেষে আজ সন্ধ্যায় সংবাদ ব্রিফিংও করেন যুক্তফ্রন্টের মহাসচিব আবদুল মান্নান। ব্রিফিংয়ে মান্নান বলেন, ‘ইসির সঙ্গে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি নির্বাচনের তফসিল পেছালে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হতে পারে। আর এই শূন্যতা তৈরি হলে অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় চলে আসতে পারে।’যুক্তফ্রন্ট তাদের চিঠিতে আরও বলে, ‘সমস্ত জাতি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতি ইসিকে ক্ষমা করবে না।’ চিঠিতে আরও বলা হয়, সরকার বা অন্য কোনো জোট চাপ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে ইসি মাথা নত করবে না—এটা যুক্তফ্রন্ট ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।এদিকে আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন এই জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল কর্মসূচি ঘোষণায় বলেন, যদি তফসিল না পেছায়, তাহলে ইসি অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে।প্রসঙ্গত, সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে জাতীয় ঐক্য গড়তে একসঙ্গে কাজ শুরু করেন বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন। পরে জামায়াত প্রশ্নে মতের মিল না হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেননি বি চৌধুরী। | 381,616 |
জামালপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:১৭ | ১৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:১৭ | জামালপুর,বিশাল বাংলা | 0 | জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী ফেসবুক মেলা! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1022331 | জামালপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জামালপুর অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে গতকাল বুধবার সকালে হয়ে গেল ফেসবুক মেলা। নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য ফেসবুক ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।তবে ফেসবুকের অনেক নেতিবাচক দিক থাকায় এ ধরনের মেলা সরকারিভাবে আয়োজন করা নিয়ে অনেকেই নানা প্রশ্ন তুলেছেন। জামালপুর অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক মোস্তাফা বাবুল বলেন, ‘ফেসবুক এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া, যার মাধ্যমে তথ্য দুপক্ষই আদান-প্রদান করতে পারে। আর রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকায় তথ্য আমরা শুধু দেখতে পাই বা পড়তে পারি। এর মাধ্যমে জনমত গড়ে তোলা যায়। এতে নাগরিকদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়। তবে এর খারাপ দিক রয়েছে। যার মাধ্যমে সমাজে অনেক অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। এর ফলে এখানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সামাজিকভাবে ভদ্রতা ও শিষ্টতা উপলব্ধি করতে হবে। তা না হলে ফেসবুক মেলা আয়োজনে সফলতা আসবে না।’ফেসবুক মেলা উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা শহরের বৈশাখী মেলা মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামালপুর অফিসার্স ক্লাবের মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জামালপুর-৫ আসনের সাংসদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) রওনক জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাসেল সাবরিন, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম প্রমুখ।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের উৎসাহেই এই প্রথম নাগরিকদের সুবিধার জন্য জামালপুরে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে নাগরিকেরা তাঁদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে পারেন। এখানে ফেসবুক ব্যবহারে ইতিবাচক বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। | 266,170 |
সুজয় মহাজন ও মাসুদ মিলাদ চট্টগ্রাম থেকে | economy | অর্থনীতি | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৩:০৯ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৩:১০ | -1 | 0 | জৌলুশ হারিয়েছে খাতুনগঞ্জ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/768472 | ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য ২০১০ সালে চট্টগ্রামের মোস্তফা গ্রুপকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ দেয় উত্তরা ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা। ঋণটি পরে খেলাপি হয়ে যায়। তাতে ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখাটিও লোকসানে চলে যায়। তিন বছর সময় লাগে এ লোকসান কাটাতে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা-তদবির করে সেই ঋণটি এখন পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এরপর থেকে ঋণ বিতরণে সতর্ক ব্যাংকের এই শাখা।২০০৯ থেকে ২০১২ সালে মারিন ভেজিটেবল, নুরজাহান সুপার অয়েলসহ চারটি প্রতিষ্ঠানকে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে অর্থায়ন করে ন্যাশনাল ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা। কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠান ঋণের টাকা ফেরত দেয়নি। শেষ পর্যন্ত চার প্রতিষ্ঠানের কাছে আটকে পড়া ৮৪০ কোটি টাকার ঋণ আদায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পত্তিও নিলামে তোলা হয়। সেই ঘটনার পর থেকে গত দুই বছরে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে নতুন অর্থায়ন বন্ধ রেখেছে ন্যাশনাল ব্যাংকের এই খাতুনগঞ্জ শাখা। বিপুল খেলাপি ঋণের চাপে শাখাটি এখন লোকসানে।লোকসান কাটাতে ঋণগ্রহীতাদের পেছনে ছুটছে চট্টগ্রামের ব্যাংকগুলো। আর ভোগ্যপণ্যের বাজার থেকেও নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে ঋণগ্রহীতা এসব প্রতিষ্ঠান। খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত পাঁচ-ছয় বছরে খাতুনগঞ্জ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে বড় ও মাঝারি পর্যায়ের প্রায় ২০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। একসময় এসব প্রতিষ্ঠান খাতুনগঞ্জ তথা দেশের ভোগ্যপণ্য আমদানি বাজারের বড় অংশীদার ছিল।মোস্তফা, নুরজাহান ছাড়াও ভোগ্যপণ্যের বাজার থেকে ব্যবসা অনেকটা গুটিয়ে নেওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আরও আছে এমইবি গ্রুপ, ইমাম গ্রুপ, ইয়াসির গ্রুপ, এ জামান অ্যান্ড ব্রাদার্সসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। ভোগ্যপণ্যের বাজার থেকে এ রকম বড় আমদানিকারকদের ছিটকে পড়ার জন্য ‘অসম প্রতিযোগিতা’ এবং ব্যাংকের বাছবিচার ছাড়া অর্থায়নকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্যকে বিবেচনায় নেয়নি। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ডুবেছে, তেমনি সংকটে ব্যাংকও। আর এখনো এর রেশ বয়ে বেড়াচ্ছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকেরা। সেই সঙ্গে মলিন হয়ে গেছে খাতুনগঞ্জের জৌলুশ।গত সপ্তাহের একাধিক দিন খাতুনগঞ্জ পরিদর্শন করে একসময়কার জমজমাট এই বাণিজ্যকেন্দ্রটির জৌলুশহীন রূপ চোখে পড়ে। পণ্যবোঝাই ট্রাকের সংখ্যা দেখা গেছে কম। মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের হাঁক-ডাক নেই। পাইকারি ব্যবসায়ীরা টেবিলের ওপর বাটিতে পণ্যের নমুনা নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু ক্রেতার দেখা মিলছে খুব কম। গুদামে থাকা পণ্যের সরবরাহ আদেশের কাগজ নিয়ে দর-কষাকষি করতে দেখা যায় না ব্রোকারদের। কুশলাদি জানতে চাইতেই ব্যবসায়ীরা বলে উঠছেন—ব্যবসা ভালো নেই। ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান টি কে গ্রুপের পরিচালক তারিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গত ১০ বছরের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যবসা কমে গেছে। খাতুনগঞ্জের এই ব্যবসার বড় অংশই চলে গেছে ঢাকার মৌলভীবাজারে। তিনি আরও বলেন, একসময় খাতুনগঞ্জ থেকে সয়াবিন, পাম তেল উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে যেত। এখন আর সেটি হয় না। খাতুনগঞ্জের বাজার এখন সীমিত হয়ে পড়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায়।চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের সাম্প্রতিক তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া ভোগ্যপণ্যের ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা আমদানি করেন। এর বাইরে ঢাকা, যশোর ও খুলনার ব্যবসায়ীরা করেন বাকি ৫৭ থেকে ৬০ শতাংশ। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ২০ বছর আগে ভোগ্যপণ্যের ৮০ শতাংশ বাজার ছিল খাতুনগঞ্জের দখলে। এখন তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।বাজার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়া ছাড়াও খাতুনগঞ্জের ব্যবসার জৌলুশ হারানোর পেছনে প্রতারণা, শেয়ারবাজারের ধস, সরকারি নীতি-সহায়তার অভাব, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারের সিংহভাগ পণ্যের দরপতনের কারণ তুলে ধরেছেন ব্যবসায়ীরা। একের পর এক ব্যবসায়িক প্রতারণার ঘটনাও খাতুনগঞ্জের অনেক আমদানিকারককে পথে বসিয়েছে। এ কারণে বিশ্বাসে ভর করে চলা এ বাণিজ্যকেন্দ্রটির ব্যবসায় এখন অবিশ্বাস ভর করেছে।খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারণা শিকার, ব্যবসায় লোকসান ও ব্যাংকের দায় কাঁধে নিয়ে গত ২০ বছরে শতাধিক ছোট, মাঝারি ও বড় পর্যায়ের ব্যবসায়ী খাতুনগঞ্জ থেকে হারিয়ে গেছেন। এ সময়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে অর্ধশতাধিক।খাতুনগঞ্জে সর্বশেষ বড় প্রতারণার ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালের নভেম্বরে। ইয়াছির গ্রুপের কর্ণধার মোজাহের আলম ২৯ জন ব্যবসায়ীর ১৫০ কোটি টাকা মেরে বিদেশে পালিয়ে যান। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকেরও পাওনা ছিল ৫২৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০১১ সালে চৌধুরী ব্রাদার্স ও চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচ ভাই মিলে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা মেরে পালিয়ে যান।এসব প্রতারণার ঘটনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে খাতুনগঞ্জের ব্যবসার পরিবেশকে। এ কারণে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা। চেনাজানা নেই এমন কারও সঙ্গে আর লেনদেন করছেন না বর্তমান ব্যবসায়ীরা। ফলে নতুন করে কেউ আর এ বাজারে যুক্ত হতে পারছেন না। অন্যদিকে অতীতে বাছবিচার ছাড়া অর্থায়ন করে একের পর এক ঋণখেলাপির ঘটনা ঘটায় ব্যাংকগুলোও এখন অর্থায়নের ক্ষেত্রে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করছে। এ কারণে ব্যাংকঋণের সুবিধা পেতে বিদ্যমান ব্যবসায়ীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের পুরোনো ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘একসময় ব্যাংক বাছবিচার ছাড়া অর্থায়ন করেছে, যার কারণে বিপুল ঋণখেলাপি হয়। আর এখন আমরা যারা বাজারে আছি, তারা সবাই এর ভুক্তভোগী।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যাংকের শাখাপ্রধান ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরোনো ঋণ উদ্ধারেই আমরা অনেক বেশি সচেষ্ট। নতুন করে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে।’এদিকে শেয়ারবাজারও পথে বসিয়েছে খাতুনগঞ্জের অনেক ব্যবসায়ীকে। ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের আগে অনেক ব্রোকারেজ হাউস খাতুনগঞ্জে তাদের শাখা বিস্তার করে। আর তখন দ্রুত লাভের আশায় আসল ব্যবসা ফেলে ব্যবসায়ীরা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন শেয়ারে। এমনকি ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য নেওয়া ব্যাংকঋণও চলে যায় শেয়ারবাজারে। ২০১০ সালের ধসে সেসব বিনিয়োগের সিংহভাগই খুঁইয়ে আসল ব্যবসাও গোটাতে বাধ্য হন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাতুনগঞ্জের শীর্ষ এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের কারণে ৪০ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে। এখন এসে শেয়ারবাজারের ওই বিনিয়োগকে নিজের ব্যবসায়িক জীবনের বড় ‘ভুল’ বলে মনে করেন তিনি। অপর শিল্পপ্রতিষ্ঠান টি কে গ্রুপও তাদের নিজস্ব ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে শেয়ারের বিপরীতে গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে ২০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান দিয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। | 201,298 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ আগস্ট ২০১৭, ০৪:২৬ | ০৬ আগস্ট ২০১৭, ০৮:১২ | আইন ও বিচার | null | গৃহকর্মী সাবিনার মামলা থাকছে না | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1278771 | ডিম পোচ করতে গিয়ে কুসুম ছড়িয়ে যাওয়ায় নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী সাবিনার (১১) পরিবার আর মামলা চালাতে চাইছে না। এদিকে মামলার একমাত্র আসামি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। সাবিনার বাবা বাদল গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে সাবিনা একবার বাড়ি এসেছিল। বর্তমানে সে ঢাকায় গেছে কোর্ট থেকে মামলা তুলতে। আসামিপক্ষ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে, বলেছে আরও টাকা দেবে। তবে কত টাকা দেবে তা বলেনি।’ছয় মাস আগে টাঙ্গাইলের সাবিনা ঢাকায় কাজ নেয় লে. কর্নেল তসলিম আহসানের বাসায়। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, শিশুটির ওপর এই নির্যাতন চালান তসলিম আহসানের স্ত্রী আয়েশা লতিফ। মামলার একমাত্র আসামি আয়েশাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত জুন মাসের শেষের দিকে ডিম পোচ করতে গিয়ে ডিমের কুসুম ছড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগে সাবিনার বুকে ও হাতে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেন গৃহকর্ত্রী আয়েশা লতিফ। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বেলন দিয়ে তাকে পেটাতেন আয়েশা। উদ্ধারের পর দেখা যায়, সাবিনার মাথা, গলা, পিঠ, ঊরুসহ সারা শরীরেও নতুন-পুরোনো অসংখ্য দাগ। দুই চোখ জখমে কালো হয়ে ফুলে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।পল্লবী থানা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) এবং সাবিনাকে উদ্ধারকারী এলাকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সাবিনা জানিয়েছিল তাকে পেটানোর কথা। পল্লবী থানার উদ্যোগে সাবিনাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তড়িঘড়ি উদ্যোগেই ‘উন্নত চিকিৎসা’র কথা বলে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।দুই সপ্তাহ পর পল্লবী থানার মামলাটি ঢাকার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ ইন্সপেক্টর আমেনা খাতুন।সাবিনার বাবার সঙ্গে কথা বলার আগে গতকাল প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় আমেনা খাতুনের। তিনি বলেন, সাবিনার মেডিকেল রিপোর্ট ও জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত বুধবার সিএমএইচ কর্তৃপক্ষের কাছে সাবিনার সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি। তিনি জানান, মামলার আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন—এমন একটি কাগজ পল্লবী থানা থেকে তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছে।মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আসামির জামিন পাওয়ার বিষয়টি আদালতের বিষয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।স্থানীয় বাসিন্দা, থানা এবং ওসিসির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশুটি জানিয়েছে, তাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতেন আয়েশা লতিফ। গত ৩০ জুন সর্বশেষ নির্যাতনের শিকার হয় সে। শিশুটি কোনোভাবে মিরপুরের ডিওএইচএসের বাসা থেকে পালাতে সক্ষম হয়। মিরপুর ১২ নম্বরে মিরপুর সেনানিবাসের কাছে মোল্লা মার্কেটের সামনে থেকে স্থানীয় ব্যক্তিরা যখন তাকে উদ্ধার করে, তখন শিশুটি ভালোভাবে হাঁটতেই পারছিল না। উদ্ধারের পর শিশুটিকে পল্লবী থানায় নেওয়া হয়। সেখানেই সে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ফৌজদারি কার্যবিধিতে মামলা করে। | 330,988 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৯ মার্চ ২০১৬, ১৩:৩২ | ২৯ মার্চ ২০১৬, ১৩:৩৩ | সংগীত | 0 | অভিসার ভেস্তে গেল বিবারের! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/813490 | সাবেক প্রেমিকা সেলেনা গোমেজের সঙ্গে ‘সারপ্রাইজ ডেটিং’ বা অভিসারের বিষয়টা শেষ পর্যন্ত ভেস্তেই গেল জাস্টিন বিবারের। লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়ার্ল্ড ট্যুর কনসার্ট শেষ করে সেলেনার সঙ্গে পুরোনো প্রেমটা আরেকবার ঝালাই করে নিতে চেয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী এই পপসংগীত তারকা।সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর কথা ভেবে লস অ্যাঞ্জেলেসের স্টাপেল সেন্টার বুকিং দেওয়ার কথা ছিল বলেও জানিয়েছে ই! নিউজ! কিন্তু ভাগ্যদেবী বোধ হয় সহায় ছিলেন না অতটা। তাই কোনো কিছুই পরিকল্পনামাফিক হচ্ছিল না। ফলে ভেস্তে যায় সবই।এদিকে সেলেনাকে এ পরিকল্পনার ব্যাপারে আগাম কিছু জানিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা না গেলেও সম্পর্কটা জোড়া লাগাতে আবার বেশ তৎপর হয়ে উঠছেন এই সংগীত তারকা। গত সপ্তাহে সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে চুম্বনরত একটি ছবিও শেয়ার করেন তিনি। সেই সঙ্গে ‘ফিলস!’ লিখে ছোট্ট একটি ক্যাপশনও জুড়ে দিয়েছিলেন ছবির সঙ্গে।পুরোনো প্রেমিকাকে বুঝি ভালোই অনুভব করছেন জাস্টিন বিবার। তবু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে অভিসারটা হলো না। এর নেপথ্যে কি সেলেনা? নাকি জাস্টিনই শেষ পর্যন্ত আগ্রহ হারিয়ে ফেললেন—এসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এদিকে কনসার্টের সময়টাতেও পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিলেন না জাস্টিন। একপর্যায়ে মঞ্চে কেবল ট্র্যাক চালু রেখে গান গাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেটা কি তবে অভিসার ভেস্তে যাওয়ার শোকেই!আপাতত এ জুটির মধ্যে আসলে ঠিক কী ঘটছে—সে রহস্যটা পরিষ্কার করে বোঝা খানিকটা কঠিনই বটে। তবে জাস্টিনের বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনা ছিল বলেই জানিয়েছে সূত্রটি। ই! নিউজ। | 215,055 |
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জুলাই ২০১৪, ০০:৩৭ | ১৯ জুলাই ২০১৪, ০০:৩৮ | হবিগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | স্ত্রী–কন্যাকে হত্যা করার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/271279 | হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার উত্তর সুরমা গ্রামের সানু মিয়া নামের এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। সানু মিয়া গতকাল শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।পুলিশের দাবি প্রেমঘটিত ও পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৮ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চিতনা (ধরমণ্ডল) গ্রামের সানু মিয়া মাধবপুরের উত্তর সুরমা গ্রামের জরিনা বেগমকে (৩৬) বিয়ে করেন। এর পর থেকে সানু মিয়া শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে।সানু মিয়া পুলিশকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের এক ব্যক্তি নানা অসিলায় তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমে তাঁর স্ত্রীর ও পরে মেয়ে মাসুমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে নিষেধ করেন। কিন্তু তাঁরা নিষেধ মানেননি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সানু মিয়া স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে ও পরে কন্যা মাসুমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।ঘটনার পরপরই সানু মিয়া বাড়ির পার্শ্ববর্তী তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাছেদ, ওসি (তদন্ত) আজমিরুজ্জামান ও তেলিয়াপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) সহিদুল্লাহ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং নিহত ব্যক্তিদের লাশ মাধবপুর থানায় নিয়ে আসেন। গতকাল লাশ দুটির ময়নাতদন্ত হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক হাসপাতালে সম্পন্ন হয়।থানা হাজতে সানু মিয়া বলেন, ‘অন্যায় দেখে রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র কাছে পেয়ে কোপাতে শুরু করি। কাকে কুপিয়েছি তা জানি না।’এ ঘটনায় জরিনা বেগমের বড় বোন মেহেরুন নেছা সানু মিয়াকে আসামি করে গতকাল মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।মাধবপুর থানার ওসি আবদুল বাছেদ জানান, স্ত্রীর ও মেয়ের প্রেমের ঘটনা নিয়েই এ হত্যাকাণ্ড। এ ছাড়া অপরাধী নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন, সেখানেও একই কথা বলেছেন। | 79,037 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০২ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০২ | ভারত | null | নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে খুশি উত্তর প্রদেশের মুসলিমরা | http://www.prothom-alo.com/international/article/328057 | ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া বক্তব্যে উত্তর প্রদেশের মুসলিমদের ভেতরে আশার সঞ্চার হয়েছে। সম্প্রতি সিএনএনে এক সাক্ষাৎকারে মোদি ভারতীয় মুসলিমদের প্রশংসা করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।চার কোটি মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর প্রদেশের মুসলিম নেতারা মনে করছেন, মোদি যদি মুসলিমদের সঙ্গে আলোচনার পথে আসেন, তবে বিজেপির প্রতি তাঁদের পুরোনো অবিশ্বাস কমতে পারে।নরেন্দ্র মোদি গত সপ্তাহে সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারতীয় মুসলিমরা দেশের জন্য জীবন দিতে পারে। তারা ভারতের জন্য বাঁচবে; ভারতের জন্যই প্রাণ দেবে।অবশ্য ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার আগে সে দেশের মানুষকে খুশি করতেই মোদি এই বক্তব্য দিয়েছেন।তবে উত্তর প্রদেশের মুসলিমরা মোদির ওই বক্তব্যের মধ্যে বিজেপির অবস্থানে বড় ধরনের পরিবর্তন খোঁজার চেষ্টা করেছেন। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহিব-উল-হক বলেন, বড় দায়িত্ব পেয়ে মোদি বুঝতে পেরেছেন, তাঁকে সবাইকে নিয়েই চলতে হবে। তিনি অটল বিহারি বাজপেয়ির মতো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে চাইছেন।মোহিব-উল-হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর কথামতো চললে বিজেপির প্রতি উষ্মা কমে যাবে।লক্ষ্ণৌয়ের ইসলামি চিন্তাবিদ কালবি সাদিক বলেন, মোদি মুসলিমদের দেশপ্রেম নিয়ে যা বলেছেন, তাতে কম লোকই দ্বিমত পোষণ করবে। | 96,128 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৯ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪০ | বিশাল বাংলা | 0 | যুবকের লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1055513 | নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বরুহাটী গ্রাম থেকে গতকাল রোববার অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বারহাট্টা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার বলেন, গতকাল সকালে বরুহাটী গ্রামে তুন্দ্রা বিলের পাশের ডোবায় একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ময়মনসিংহ অফিস | 281,725 |
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জুন ২০১৬, ০১:২৭ | ০৫ জুন ২০১৬, ০১:২৯ | বিশাল বাংলা,নেত্রকোনা,ঢাকা বিভাগ | 0 | কেন্দুয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/878308 | নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনী বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত মোজাফরপুর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মামুদপুর গ্রামের আকাতুল ইসলামের সঙ্গে রুকনুজ্জামান ও খায়রুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত আকাতুল ইসলাম (৩৫), সিরাজ মিয়া (৩০), আবুল কালাম (৪০), সজল ইসলাম (১৭), হযরত আলী (২৮), রীমা (৪২), ফজলুল হক (৪৫), রনি (২৬), সুমন (৩৫), ইয়াসমিন (১৭), জমসুর মিয়া (২৫), নার্গিস (৫৫) ও সম্রাট মিয়াকে (২০) প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সন্ধ্যায় কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, নির্বাচনী ও গ্রাম্য বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। | 229,411 |
পিয়ারা আক্তার | education | শিক্ষা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:২২ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:২৫ | পড়াশোনা | 0 | প্রাথমিক বিজ্ঞান | http://www.prothom-alo.com/education/article/456649 | সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: অধ্যায়-১প্রিয় শিক্ষার্থীরা, প্রাথমিক বিজ্ঞান অধ্যায়-১ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।# সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:প্রশ্ন: পরিবেশের ওপর জীবের নির্ভরশীলতার দুইটি উদাহরণ দাও।উত্তর: জীব বিভিন্ন কারণে পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল যেমন—ক. জীব বায়ু ছাড়া বাঁচতে পারে না।খ. জীব অর্থাৎ উদ্ভিদ ও প্রাণী পানি ছাড়াও বাঁচতে পারে না। বায়ু ও পানি এ দুটো পরিবেশের উপাদান। পরিবেশে আরও অনেক উপাদান আছে, যেগুলোর ওপরও কোনো না কোনোভাবে জীব নির্ভরশীল।প্রশ্ন: তিনটি গুল্ম উদ্ভিদের নাম লেখো।উত্তর: তিনটি গুল্ম উদ্ভিদের নাম হলো—১. লেবুগাছ, ২. গোলাপগাছ ৩. কামিনীগাছ।প্রশ্ন: অপুষ্পক ও সপুষ্পক উদ্ভিদের পার্থক্য লেখো।উত্তর: অপুষ্পক ও সপুষ্পক উদ্ভিদের পার্থক্য নিচের ছকে দেওয়া হলো:অপুষ্পক উদ্ভিদ১। অপুষ্পক উদ্ভিদে ফুল ও ফল হয় না।২। এ ধরনের উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড ও পাতা নেই।৩। অপুষ্পক উদ্ভিদ সাধারণত নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না।৪। এসব উদ্ভিদের মূল মাটির গভীরে যায় না।৫। অপুষ্পক উদ্ভিদ আকার-আকৃতিতে ছোট ও নরম।সপুষ্পক উদ্ভিদ১। সপুষ্পক উদ্ভিদের ফুল ও ফল হয়।২। এ ধরনের উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড ও পাতা আছে।৩। সপুষ্টক উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।৪। এসব উদ্ভিদের মূল মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে।৫। সপুষ্পক উদ্ভিদ আকার-আকৃতিতে বড় ও শক্ত।# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামী রোববারপ্রধান শিক্ষক, ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা | 117,094 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৪৭ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৫০ | ফুটবল,রিয়াল মাদ্রিদ | 0 | ঘুরে দাঁড়িয়ে রিয়াল মাদ্রিদের দুর্দান্ত জয় | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1576017 | কোপা ডেল রেতে জিরোনার বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটিতে রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রামোস। একটি করে গোল করেছেন ভাসকেস ও বেনজেমা। জিরোনার হয়ে একটি করে গোল করেছেন লোজানো ও গ্রানেল।কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠে ৪-২ গোলের ব্যবধানের জয় সেমি ফাইনালের পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাখল সোলারির শিষ্যদের। অন্যদিকে হেরে গেলেও প্রতিপক্ষের মাঠে ২ গোল দ্বিতীয় লেগের সমীকরণ খানিকটা সহজ করেছে জিরোনাও।সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শুরুতেই রিয়াল সমর্থকদের বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যায়। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই লোজানোর গোলে পিছিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। তবে জবাব দিতে খুব বেশি দেরি করেনি রিয়াল। লুকাস ভাসকেসের গোলে সমতায় ফেরে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ওডিওসোলার বাড়ানো বল থেকে গোল করেন ভাসকেস। এরপর প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান সার্জিও রামোস। ভিনিসিউস জুনিয়র জিরোনার ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। রামোসের গোলে ২-১ গোলের ব্যবধানে খেলা শেষ করে সোলারির শিষ্যরা।দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরে আবারও রিয়ালের ভাগ্য পেন্ডুলামে ঝুলিয়ে দেয় জিরোনা। ৬৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি গ্রানেল। ডি বক্সের মধ্যে বদলি খেলোয়াড় লরেন্তের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় অতিথিরা। এবারও জবাব দিতে খুব একটি দেরি করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ৭৭তম মিনিটে রামোসের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। মার্সেলোর হাওয়ায় ভাসানো বল হেডে জালে জড়ান রামোস। ৮০তম মিনিটে ভিনিসিউসের বাড়ানো বল থেকে জিরোনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন বেনজেমা। | 388,184 |
প্রতিনিধি, নওগাঁ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জুন ২০১৮, ১২:৩৯ | ১১ জুন ২০১৮, ১২:৪২ | দুর্ঘটনা,সড়ক দুর্ঘটনা,নওগাঁ,রাজশাহী বিভাগ | 0 | নওগাঁয় ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নানা-নাতনির মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1507506 | উদ্দেশ্য ছিল সবাই একসঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করবেন। সেই উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা করেছিলেন তাঁরা। তবে পথেই তাঁদের আনন্দযাত্রা শোকযাত্রায় পরিণত হলো। সড়কে প্রাণ গেল নানা ও নাতনির।আজ সোমবার সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহিম হোসেন (৫৬) ও তাঁর নাতনি রোকাইয়া আক্তার মিতা (১৪)। আহত হয়েছেন নিহত শিশুর বাবা আলমগীর হোসেন (৩৮), অটোরিকশার চালক রুবেল হোসেন (২৮) ও পিকআপের চালক জিয়াউর রহমান (২৫)। আহত ব্যক্তিরা নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মান্দা উপজেলার চেয়ারম্যানের মোড় এলাকায় নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশুসহ দুজন নিহত হন। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, মিতার বাবা ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে ট্রেনে করে আজ সকালে রাজশাহীতে পৌঁছায় পরিবারটি। পরে রাজশাহী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে চেয়ারমানের মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নানা-নাতনির মৃত্যু হয়। | 366,933 |
ইমরান আহম্মেদ | international | আন্তর্জাতিক | ০৬ জুলাই ২০১৪, ১৮:০৮ | ০৬ জুলাই ২০১৪, ১৮:২৬ | যুক্তরাষ্ট্র | null | বাজেট সংকটে বেসামাল মার্কিন সেনাবাহিনী | http://www.prothom-alo.com/international/article/260284 | রাশিয়া-চীন যেখানে ক্রমবর্ধমানহারে সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে, সেখানে বাজেট সংকটে ভুগছে বিশ্বের সবচেয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। সম্প্রতি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।প্রতিবেদনের তথ্য মতে, নানা ধরনের প্রতিকূলতার দরুন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন সামরিক ব্যয় ক্রমান্বয়ে কমাতে হচ্ছে। ২০০৯ সালে মার্কিন সামরিক ব্যয় ছিল প্রায় সাত শ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০১৫ সালের জন্য ৪৯৬ বিলিয়ন ডলার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। অবশ্য এর সঙ্গে আফগানিস্তানের জন্য পৃথকভাবে ৭৯ বিলিয়ন ডলার রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।সামরিক কৌশল ও বিশ্ব অধ্যয়ন কেন্দ্র (সিএসআইএস) ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২১ শতাংশ সামরিক বাজেট সংকোচনের পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু একই সময়ে চীন, রাশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই ক্রমান্বয়ে সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে চলছে। ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়া প্রায় ৩০ শতাংশ এবং চীন ৪০ শতাংশেরও বেশি সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে।দক্ষিণ চীন সাগর, আফগানিস্তান, লিবিয়া, মালি ও সিরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আগেই ছিল। রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল, নাইজেরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। আর ইরাকের ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্রদের নতুন করে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাবিদদের জন্য সামরিক ব্যয়ের সংকোচন কঠিন কাজে পরিণত হয়েছে তার ওপর প্রায় প্রতি মাসেই নতুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমস্যার সমাধানে সেনা মোতায়ন দরকার হলেও বাজেট সংকটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।উত্তর কোরিয়া ও ইরান সমস্যা এখনও শেষ হয়ে যায়নি উল্লেখ করে সামরিক কৌশল ও বিশ্ব অধ্যয়ন কেন্দ্রের ফেলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি-সংক্রান্ত ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথলেন হিকস বলেন, ‘বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী কঠিন সময় পার করছে।’কয়েক বছরব্যাপী যুুুদ্ধ সামরিক ব্যয় অনেকাংশে বাড়িয়েছে। সামরিক ব্যয় বিশ্লেষকদের হিসাবমতে, আফগানিস্তানে একজন সাধারণ সেনার পেছনে বছরে অন্তত ২০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি খরচ হচ্ছে। তদুপরি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সংকট ওয়াশিংটনকে আরও চিন্তায় ফেলেছে।গত বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক থেকে পুরোপুরি সেনা ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইরাক ও লেবাননে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা মার্কিন সরকারকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। উপসাগরীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বাহিনীসহ কয়েক শত মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখতে হচ্ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক একাডেমির এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেনাবাহিনী ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।সম্প্রতি পেন্টাগনের অর্থবিষয়ক প্রধান রবার্ট হাল রয়টার্সকে জানান, ইরাকে যুদ্ধের জন্য নতুন করে অর্থ ব্যয় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ইউরোপের জন্যও সামরিক ব্যয় খুব একটা বাড়বে না । অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ডলারের মতো যোগ হতে পারে ।এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বে সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় করে থাকে। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি কেবল যুক্তরাষ্ট্রই করে ।যেখানে অধিকাংশ দেশই প্রতিবেশী দেশের তুলনায় সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র খুব কমই সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে।গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি সামরিক কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিতে বিশ্বাসী। বাজেট সংকটের কারণে আমাদের অধিক ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। আশা করছি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’অস্ট্রেলিয়ার ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস’ নামক প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে গত সাত বছরে বিশ্বব্যাপী সংঘাত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করা হয়। যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় মাথা ব্যথার কারণ। | 75,226 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০৯ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:২১ | ১০ জানুয়ারি ২০১৬, ১৬:৩৮ | হলিউড | 0 | ‘র্যাম্বো’ থেকে অবসরে যাচ্ছেন স্ট্যালন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/735559 | হলিউডের ‘র্যাম্বো’খ্যাত ‘অ্যাকশন হিরো’ সিলভেস্টার স্ট্যালন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর কোনো ‘র্যাম্বো’ ছবিতে দেখা যাবে না তাঁকে!যদিও বছর খানেক ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ‘র্যাম্বো’ সিরিজের পঞ্চম কিস্তির গল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছেন স্ট্যালন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানা গেছে, অবসরেই যাচ্ছেন ‘র্যাম্বো’।সম্প্রতি, ভ্যারাইটি ডটকমকে স্ট্যালন জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে ‘র্যাম্বো-৪’ যেখানে ছবিটাকে ছেড়ে গেছে, তাতেই তিনি সন্তুষ্ট। বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই করলে কী হবে, ‘অ্যাকশন হিরো’ সিলভেস্টার স্ট্যালন মনের দিক দিয়ে এখনো তরুণ। তিনি বলেন, ‘মন চাইলেও শরীর যে সায় দেয় না! সে বলে, বাড়িতেই থাকো! নইলে যোদ্ধারা যেমন শেষ একটা যুদ্ধ লড়তে যায় এবং পরাস্ত হয়, তোমার অবস্থাও তেমনটিই হবে!’স্ট্যালন আরও বলেন, ‘অ্যাকশন ছবি হিসেবে বর্মিদের (মায়ানমারের জনগণ) ব্যাপারটি নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি সন্তুষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘গৃহযুদ্ধটা ভীষণ বর্বর ছিল। চরিত্রটা খুব মন দিয়ে করেছিলাম, কোনো ছাড় দিইনি চেষ্টায়। ছবিটি করার সময় বারবার ভেবেছিলাম, এটাই হবে এই সিরিজে এই চরিত্রে আমার শেষ অভিনয়।’এ প্রসঙ্গে সিলভেস্টার স্ট্যালন বলেছেন, ‘লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার পর আমি আর দ্বিতীয়বার কাজটি করার জন্য তেমন কোনো স্পৃহা পাইনি।’‘র্যাম্বো’ সিরিজের প্রথম ছবিতে ১৯৮২ সালে প্রথম নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সিলভেস্টার স্ট্যালন। ২০০৮ সালে সিলভেস্টার স্ট্যালনের অভিনয় এবং পরিচালনায় ‘র্যাম্বো’ সিরিজের চতুর্থ ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর এই সিরিজের সঙ্গে সম্পৃক্ততার খবর শোনা গেলেও এখন তা সঠিক নয় বলেই জানা গেছে। এমনকি, ‘র্যাম্বো’ টিভি সিরিয়ালের সঙ্গেও তাঁর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলেই জানিয়েছেন এই অভিনেতা।তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফক্স’-এর ব্যানারে ‘র্যাম্বো’-এর ছেলেকে নিয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে স্ট্যালন বলেছেন, ‘আমি কারও দুর্নাম করতে চাই না, তবে আমার মনে হয়, কোনো চরিত্রের সন্তানকে সেই চরিত্রের জায়গায় বসানোর চেষ্টাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। আমি দেখেছি ‘টারজান’-এর ছেলে, ‘কিং কং’-এর ছেলে, ‘গডজিলা’-এর ছেলেকে। এটা খুবই কঠিন ও প্রায় অসম্ভব একটা বিষয়।’ টিএমজি। মিড ডে। | 190,674 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৪, ২২:২৬ | ১৩ অক্টোবর ২০১৪, ২২:৫৯ | রাজনীতি | null | ‘প্রথম সুযোগেই দেশে ঢুকে পড়ব’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/342451 | নিজ দল আওয়ামী লীগ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ভারত থেকে ‘প্রথম সুযোগেই’ তিনি বাংলাদেশে ‘ঢুকে পড়তে’ চান। এ জন্য তিনি সরকার ও দলের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন। তবে শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরা না হলে তিনি ভারতের আশ্রয়ে থাকতে চান। কলকাতায় অবস্থানরত লতিফ সিদ্দিকী আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেন।সাক্ষাত্কারটির হুবহু তুলে ধরা হলো:বিবিসি: সরকার এবং দল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কীভাবে নিচ্ছেন?লতিফ সিদ্দিকী: আমার প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। কারণ আমি একটা দল করি। দলের একটা নিয়ম-শৃঙ্খলা আছে। সেই নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছি বলে আমার দলনেতা মনে করেছেন। সেই জন্য দলের নেতা ব্যবস্থা নিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ ফোরামে বসে। সো, এটা নিয়ে আমার তো বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা না। এই দলই আমাকে মন্ত্রী বানাইছে। এই দলের নেতাই আমাকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এখন তিনি বা তাঁর সহকর্মী মিলে যদি আমাকে মনে করেন যে আমি সহকর্মী হওয়ার যোগ্যতা রাখি না; সেটা সংখ্যাগরিষ্ঠ গণতন্ত্রে তো এটা কোনো অপরাধ না।বিবিসি: তাঁরা মনে করেছেন, কিন্তু আপনি কি সেই... তাঁদের যে মনে করা, আপনি তাঁদের সঙ্গে একমত?লতিফ সিদ্দিকী: আমি একমত, কারণ আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত।বিবিসি: আপনার কাছে কি মনে হচ্ছে যে আপনার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে?লতিফ সিদ্দিকী: না, না। বরঞ্চ আমি অনুতপ্ত যে আমি আমার দল, আমার দলনেতাকে একটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছি।বিবিসি: এ ছাড়া অন্য কোনো অনুশোচনা হচ্ছে? পুরো অবস্থার জন্য কি কোনো অনুশোচনা হচ্ছে?লতিফ সিদ্দিকী: না, আমার কোনো অনুশোচনা বা অনুতাপ নেই। আমার নেতাকে আমি বিব্রত করেছি। তিনি আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন, আমি তাঁকে খুব কষ্ট দিয়েছি।বিবিসি: কিন্তু আপনি যেটা বলেছিলেন, সেটা নিয়ে কি কোনোভাবে কোনো ধরনের অনুশোচনা হচ্ছে?লতিফ সিদ্দিকী: আবার বলি, আপনারা কিন্তু আমাকে শোনাতে চেয়েছিলেন, আমি কিন্তু বলি নাই। আমার এই জায়গাটায় একটা আক্ষেপ আছে যে সারা পৃথিবীতে কি একজন সাংবাদিক বা একজন মানুষ নেই যে জিজ্ঞেস করল না উনি একটা আড্ডাতে কথা বলেছেন। কোনো সভায় নয়, কোনো সমিতিতে নয়, মাইকে নয়। তো, সেই আড্ডায় উনি পুরোটা কী কথা বললেন, সেইটা না জেনে একটা খণ্ডিত অংশ, বিকৃতও হতে পারে, অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে। তো পুরোটা কেউ চাইলেন না আজ পর্যন্ত। এইটা আমার আক্ষেপ আছে। আমি পুরো কথাটার দায়িত্ব নিচ্ছি। দেড় ঘণ্টা আমি কথা বলেছি। সেই দেড় ঘণ্টার টেপটা আপনারা বাইর করান, সেটার পুরো দায়িত্ব আমার। এর জন্য আমার যদি ফাঁসি দেওয়া হয়, তা-ও আমি মেনে নেব।বিবিসি: তো যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এখন আপনার পদক্ষেপ কী হবে? আপনি কি দেশে ফিরছেন?লতিফ সিদ্দিকী: আমি দেশে ফিরতে আগ্রহী। কারণ এই দেশটার স্বাধীনতার জন্য আমি কাজ করেছি। আমি এই দেশটার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। কিন্তু প্রেক্ষাপটটা এমন হয়েছে যে, আমি কী করব আমি বুঝতে পারছি না। কারণ, আমি দেশে গেলে, ঢুকে গেলে, আমার নেতা যদি আরও বিব্রত হয়, সেই জন্যে আমি খুবই মানসিক সংকটে আছি। আমি প্রথম সুযোগেই দেশে ঢুকে পড়ব। গিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করব।বিবিসি: তার মানে আপনি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।লতিফ সিদ্দিকী: বিষয়টা কিন্তু তা না। নেতা বা আমার দলের কোনো ক্ষতি হবে কি না আমি ঢুকলে, সেইটা নিয়ে আমি চিন্তিত। আমাকে নিয়ে আমি চিন্তিত নই।বিবিসি: কিন্তু দেশে না ঢোকা পর্যন্ত তো সেটা আপনি বুঝতে পারছেন না।লতিফ সিদ্দিকী: না, না, বুঝতে পারার কথা না। আমাকে তো কিছুটা জানতে হবে। জানতে আমি পারব।বিবিসি: আপনি দলের কাছ থেকে কিছু শোনার অপেক্ষায় আছেন যে দল আপনাকে বলবে, ‘না তুমি এসো না’ বা ‘তুমি থাকো’।লতিফ সিদ্দিকী: অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই।বিবিসি: দলের নেতার সঙ্গে কি আপনি নিজে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন?লতিফ সিদ্দিকী: দলের নেতা মানে শেখ হাসিনার সাথে? না আমি চেষ্টা করি নাই।বিবিসি: দলের কোনো পর্যায়ের সঙ্গে কি যোগাযোগের চেষ্টা করছেন যে আপনার কী করা উচিত? মানে আপনি আসবেন কি না?লতিফ সিদ্দিকী: না, না, না, না।বিবিসি: তার মানে আপনি চাইছেন তাঁরাই আপনাকে বলুক? আপনি সেটাই চাইছেন?লতিফ সিদ্দিকী: না, আমি চাইছি না। তাঁরা কী করবেন তা তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।বিবিসি: মিস্টার সিদ্দিকী, এর আগে আমরা যেটা দেখেছি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যে ধরুন দুজন লেখক, একজন মহিলা একজন পুরুষ। তসলিমা নাসরিন, দাউদ হায়দার-তাঁরা...তাঁদের সম্পর্কে একই ধরনের অভিযোগ ওঠার পর তাঁরা আর দেশেই ফিরতে পারছেন না। বছরের পর বছর। দশকের পর দশক। আপনার কি সেই ভয়টা হচ্ছে যে আপনারও সেই পরিস্থিতি হতে পারে?লতিফ সিদ্দিকী: না, না, তারা লেখনীর মাধ্যমে বলেছে। তারা এক কথা বলেছে আর আমি তো এখনো বলছি যে আমার অবস্থান... আমার কথাগুলোকে বিকৃত করা হয়েছে, খণ্ডিত করা হয়েছে। একত্রিত যোগ করলে দেখা যাবে আমি একটা অ্যাকাডেমিক বিশ্লেষণ করেছি।বিবিসি: কিন্তু মানুষ, মানুষের যে পারসেপশন। মানুষ যেটা মনে করছে যে আপনি তাঁদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। আপনার ভিতরে কি ভয় জাগছে যে আপনারও ... দেশে ফিরতে পারবেন কি না?লতিফ সিদ্দিকী: সেটা দেখা যাবে। সময়ই বলে দেবে। আমার জীবনে এ রকম ঝড় বহুবার এসেছে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। তারপর বিতাড়িত হয়েছিলাম। কয়দিন যুদ্ধও করেছি। তারপর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আমার দ্বিমত হয়েছে বলে আমি সরে এসেছিলাম। এখনো কাদের সিদ্দিকী ক্ষমা চাচ্ছে। এই ব্যাটাকে কে ক্ষমা চাওয়ার আমার পক্ষ থেকে দিল? আমি তো তাঁকে দায়িত্ব দেই নাই যে আমার পক্ষে ক্ষমা চাও। সে এক দল করে, আমি আরেক দল করি। সে আমার বিরুদ্ধে ২০০১-এ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আমাকে পরাজিত করেছিল।বিবিসি: আপনার কাছে আমার শেষ প্রশ্ন মিস্টার সিদ্দিকী—আপনি যদি অদূর ভবিষ্যতে দেশে ফিরতে না পারেন, আপনার দল যদি আপনাকে সে ধরনের কোনো ইঙ্গিত না দেয় যে আপনি ফিরুন, আপনি এখনো এমপি আছেন। আপনি কোথায় থাকবেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপাতত?লতিফ সিদ্দিকী: না, না।বিবিসি: আপনি কি ভারতেই থাকবেন?লতিফ সিদ্দিকী: আমি ইউরোপ-আমেরিকায় থাকতে পারব না। আমি ইউরোপ-আমেরিকায় থাকতে পারব না বলেই আমি কলকাতায় এসেছি। আমি একেবারেই মাটির সাথে থাকতে চাই। মাটির সোদা গন্ধে আমার... আমি খুব একটা সাধারণ মানুষ ভাই।বিবিসি: ভারতে কি আপনি থাকতে পারবেন? কোনো ইঙ্গিত ভারত সরকারের কাছে...লতিফ সিদ্দিকী: ভারত সেটা না দিলে,... সেটা এখনই... সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলব না। সময় সামনে বলে দেবে। সময়ই সময়ের সিদ্ধান্ত নেবে। এখন কিছু বলব না। | 100,009 |
বরুন রায়, বেড়া (পাবনা) | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৩:২৪ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৩:২৪ | বেড়া,পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | null | গরুর ভালো দাম, খামারি ব্যবসায়ী উভয়েই খুশি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/633325 | খামারি ও গরু ব্যবসায়ী উভয়েরই ব্যাপক লোকসান হয়েছিল গত বছর। তারপরও করব না করব না করে শেষ পর্যন্ত খামারিরা গরু পালন করেছেন। গরু ব্যবসায়ীরাও স্থানীয় হাট থেকে গরু কিনেছেন। উভয়েই এবার গরু কিনেছেন অন্যান্য বারের চেয়ে চড়া দামে। এ জন্য তাঁদের এবারের কোরবানির বাজার নিয়ে ভয় ছিল। সেই ভয় কেটে গিয়ে তাঁদের মুখে এখন খুশির ঝিলিক। কারণ, ভারতীয় গরু খুব একটা না আসায় ভালো দাম পাচ্ছেন তাঁরা।পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট সামনে রেখে গরু পালন একটি লাভজনক পেশা। দুই উপজেলায় পাঁচ হাজারের বেশি খামারি গরু লালনপালন করেন। তাঁরা অল্প দামে ছোট আকৃতির গরু কিনে ছয় মাস থেকে এক বছর লালনপালন করে কোরবানির আগে সেগুলো বিক্রি করে থাকেন। অন্যদিকে দুই উপজেলায় অর্ধশতাধিক গরু ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁরা কোরবানির পশুর হাটের এক থেকে দেড় মাস আগে থেকে গরু কেনা শুরু করেন। গরুগুলোর জন্য তাঁরা অস্থায়ী গোয়ালঘর তৈরি করে কিছুদিন লালনপালন করে সেগুলো ঢাকা অথবা চট্টগ্রামের হাটে তোলেন।এসব খামারি ও গরু ব্যবসায়ী গত বছরের কোরবানির হাটে ভালো দাম পাননি। ফলে তাঁদের লোকসান হয়। তাঁদের অভিযোগ, গতবার কোরবানির হাটে ভারতীয় গরু অবাধে ঢুকে পড়ায় এমন লোকসান হয়েছিল। তাই তাঁরা ভারতীয় গরু অবাধে আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এদিকে মাস ছয়েক আগে ভারত সরকার বাংলাদেশে গরু প্রবেশ বন্ধের ঘোষণা দিলে খামারি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশা দেখা দেয়। এরপর গরুর দাম বেড়ে গেলে অনেক খামারি ও ব্যবসায়ী গত কয়েক মাসে চড়া দামেই গরু কিনেছেন। কোরবানির হাট সামনে রেখে সেসব গরু লালনপালন করে বড় করেছেন তাঁরা।তবে খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা ভয়ে ছিলেন এই ভেবে যে শেষ পর্যন্ত অবাধে ভারতীয় গরু কোরবানির হাটে ঢুকে পড়ে কি না। কিন্তু তাঁদের সেই ভয় অনেকটাই কেটে গেছে। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু গতবারের মতো ব্যাপক হারে আসছে না। এখন পর্যন্ত কোরবানির হাটে দেশি গরুই ভরসা। এ কারণে দেশি গরুর দাম গতবারের চেয়ে বেশি। আর তাতে খামারি ও গরু ব্যবসায়ী উভয়েই খুশি।গত সোমবার বেড়ার মোহনগঞ্জ পশুহাট ও গতকাল মঙ্গলবার সাঁথিয়ার করমজা পশুহাট ঘুরে প্রচুর দেশি গরুর আমদানি দেখা গেছে। হাটে ভারতীয় গরু তেমন দেখা যায়নি। গত বছরের চেয়ে প্রতিটি গরু ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। মোহনগঞ্জ পশুহাটের ইজারাদার আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমাদের হাটে কোনো ভারতীয় গরু নেই, সব গরুই দেশি। দাম গতবারের চেয়ে বেশ ভালো। হাটে গরু বিক্রি করে খামারিরা হাসিমুখে ঘরে ফিরছেন।’ এদিকে গরু ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরেও গরু কিনছেন। অনেক খামারিই হাটে গরু নেওয়ার বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকেই গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। বেড়া পৌর এলাকার বনগ্রাম মহল্লার খামারি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গতবার দুই গরুতে ১০ হাজার টাকা লস হইছিল। তাই এবার একটা গরু কিনিছি। কেনা ও পালা বাবদ আমার এই গরুর পেছনে মোট খরচ হইছে ৭০ হাজার টাকা। ব্যাপারী বাড়িত আইস্যা গরুর দাম ৯০ হাজার টাকা বলতেছে। আমার আশা লাখ টাকার ওপরে।’বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখা মহল্লার ব্যবসায়ী আবদুল মোমিন এবার ৯৩টি গরু কিনেছেন। এর মধ্য থেকে ১৩টি গরু ঢাকার হাটে তুলে ভালো লাভ করেছেন। বাকিগুলো থেকে আরও বেশি লাভের আশা করছেন। তিনি বলেন, ‘গতবার লস দিছি। এবার সেই লস পুষায়া নেওয়ার আশা করিছি। তবে ঈদের আগে ভারতীয় গরু হাটে ঢুকলে এবারও লোকসান গুনতি হবি।’ বেড়া পৌর এলাকার হাতিগাড়া মহল্লার খামারি ও বেড়া কৃষিক্লাবের সভাপতি এম আর এম ফিরোজ বলেন, ‘গতবার লোকসান হলেও এবার খামারিদের লাভ হচ্ছে। ভারতীয় গরু আমদানি স্থায়ীভাবে বন্ধ হলে খামারিরা গরু লালনপালনে বেশি উৎসাহিত হবেন। এতে কয়েক বছরের মধ্যেই গরু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যাবে।’সাঁথিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জামালউদ্দিন বলেন, ‘গতবার লোকসান হওয়ায় সাঁথিয়ায় এবার গরু মোটাতাজাকরণ ২৫ শতাংশ কম হয়েছে। তবে এবার খামারিরা ভালো লাভ পেলে আগামীবার মোটাতাজাকরণ আবারও বাড়বে।’ | 169,229 |
কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৪২ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৪২ | কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | মেহেরপুরে বাসের ধাক্কায় শিশু নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1076423 | মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদপুরে বাসের ধাক্কায় শুভ হোসেন (৪) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির মা সোনা খাতুন (৩০)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।শুভ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোনা খাতুন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনে মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়াদি বাজারে যাচ্ছিলেন। মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের চাঁদপুর নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে যাত্রীবোঝাই একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের ওপরে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সোনা খাতুনকে চুয়াডাঙ্গা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মেহেরপুর সদর থানা ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। | 291,619 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:৩৬ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:৪১ | এশিয়া | 0 | পাইলটের ভুলে বিমান আছড়ে পড়ল বাড়িতে | http://www.prothom-alo.com/international/article/1060771 | ‘পাইলটের ভুলে’ কিরগিজস্তানে মানাস বিমানবন্দরের কাছে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বার্তায় দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী মুহাম্মেতখালী আবোউলগাজিভ এ দাবি করেছেন।কুয়াশার কারণে জরুরি অবতরণের সময় আজ সোমবার তুর্কি বিমানটি কিরগিজস্তানের জনবহুল একটি গ্রামে বিধ্বস্ত হয়ে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দেশটির রাজধানী বিশকেকের কাছে দাচা-সু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কিরগিজস্তানের জরুরি বিভাগের মুখপাত্র মুহাম্মেদ শেভারভ এএফপিকে বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।’কিরগিজস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মুহাম্মেতখালী আবোউলগাজিভ বলেছেন, প্রাথমিক পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পাইলটের ভুলেই কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বার্তার বরাত দিয়ে এএফপির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।কিরগিজস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানায়, বিমানটিতে চারজন পাইলট ছিলেন। হংকং থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যাওয়ার পথে বিশকেকের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। চারজন পাইলটের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজন পাইলটের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।মানাস বিমানবন্দরের কাছে ওই গ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় ৪৩টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই দাচা-সু গ্রামের বাসিন্দা।পরিচয় প্রকাশ না করে একজন প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেন, ‘একটি বাড়িতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ওই পরিবারের শিশুসহ সবাই মারা গেছেন। ওই বাড়ির কোনো কিছুই আর বাকি নেই। অনেকে ওই সময় ঘুমিয়ে ছিলেন।’কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভ তাঁর চীন সফর বাতিল করে দেশে ফিরেছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়।আরও পড়ুন: কার্গো বিমান আছড়ে পড়ল বাড়িতে, নিহত ৩৭ | 283,726 |
-1 | sports | খেলা | ৩০ জুলাই ২০১৫, ০২:১০ | ৩০ জুলাই ২০১৫, ০২:১৮ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | ভিদালের স্বপ্ন | http://www.prothom-alo.com/sports/article/588550 | জুভেন্টাসের হয়ে পারেননি। খুব কাছে গিয়ে ফিরতে হয়েছে বার্সেলোনার কাছে হেরে। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে কি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নপূরণ হবে আর্তুরো ভিদালের? চিলিয়ান মিডফিল্ডার কিন্তু খুব আশাবাদী। ৪০ মিলিয়ন ইউরোতে জুভেন্টাস ছেড়ে বায়ার্নে যোগ দেওয়ার পর পরশু আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় তাঁর পরিচিতি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আমি খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতি করতে চাই, চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো বড় ট্রফি জিততে চাই। আর সেটা করার সবচেয়ে ভালো সুযোগ বায়ার্নের হয়েই।’ গোলডটকম। | 156,052 |
তারেক মাহমুদ, সেন্ট লুসিয়া থেকে | sports | খেলা | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:৩১ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:৩৭ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | একসুরে বাঁধা জনসন–আল আমিন | http://www.prothom-alo.com/sports/article/320266 | একজন বোলার, আরেকজন ব্যাটসম্যান। একজন খেলছেন বাংলাদেশ দলে, আরেকজন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তার পরও আল আমিন আর লিওন জনসনের কথায় কি একটা মিল খুঁজে পাওয়া গেল?বোশেজো স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটিং নিয়ে দুজনের ভাবনাই এক। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনারদের ব্যাটিং দেখে সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের প্রতি আল আমিনের পরামর্শ, ‘শুরুর দিকে সব বোলারই ভালো জায়গায় বল ফেলার চেষ্টা করে। সে ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাটসম্যানদের উচিত হবে শুরুতে একটু দেখে খেলা।’ পরশু ইনিংসের শুরুর দিকে কেন ধীরলয়ে ব্যাট করছিলেন, সেই ব্যাখ্যায় একই কথা একটু অন্যভাবে বললেন জনসন, ‘উইকেটে সকালের দিকে পেসারদের জন্য সাহায্য ছিল। সে জন্য একটু ধীরেসুস্থে শুরু করেছি। একজন ওপেনার হিসেবে বোলারদের তাদের সময়টুকু দিতেই হবে। আমরা সেটাই করেছি এবং লাঞ্চের পরের সময়টা কাজে লাগিয়েছি।’খুব সহজ ফর্মুলা এবং এই সহজ ফর্মুলাটাই মস্তিষ্কে গেঁথে নিতে কষ্ট হয় বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের। অথচ জনসনকে দেখুন, ছয় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেও কি দারুণভাবেই না মানিয়ে নিলেন! তাও আবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যেখানে ব্যাট করেন পাঁচ-ছয় নম্বরে, টেস্টে করলেন ওপেনিংয়ে। আর এই জায়গা পরিবর্তনে নাকি তাঁর কোনো সমস্যাই হয়নি, ‘এর আগে তিনটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচে আমি ওপেনার হিসেবে খেলেছি। ক্লাব ক্রিকেটেও ইনিংস শুরু করার অভিজ্ঞতা আছে। এটা ঠিক, টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন। কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে তো আপনাকে বহুমুখী হতেই হবে।’ক্লাইভ লয়েডের তুলে দেওয়া ক্যাপ মাথায় দিয়ে খেলতে নেমেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩০০তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে। অভিষেক টেস্টেই করলেন ফিফটি। এমন সুন্দর শুরুর পরও আফসোস আছে জনসনের। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টেই বড় ইনিংস খেলার সুযোগটা যে নষ্ট হলো ভাগ্যদোষে! আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে না চাওয়ায় রিভিউ চেয়েও পাননি। পেলে হয়তো ৬৬ রানেই এলবিডব্লু হয়ে যেতে হতো না তাইজুলের বলে। দিন শেষে আফসোস, ‘আমি বা আমার ব্যাটিং সঙ্গী কেউই নিশ্চিত ছিলাম না কী হয়েছে। একটু দ্বিধায় ভুগছিলাম। আসলে আমি দলের রিভিউয়ের সুযোগ নষ্ট করতে চাচ্ছিলাম না।’প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ‘মিস্টার ফিফটি’ নামেই পরিচিত। মাত্র ১৬ বছর বয়সে গায়ানার হয়ে অভিষেক। এই টেস্টের আগে ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২১ বার পঞ্চাশ করলেও মাত্র দুবার সেটিকে রূপ দিতে পেরেছেন সেঞ্চুরিতে। ফিফটি করেছেন ২০০৮ সালে খেলা স্কশিয়া ব্যাংক সিরিজের তিন ওয়ানডের একটিতেও। কিন্তু বারমুডার বিপক্ষে একটি ও কানাডার বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলার পরই জনসন হারিয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। একই ব্যাপার ঘটেছিল তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারেও। প্রথম মৌসুমে দুটি ম্যাচ খেলার পর পরবর্তী সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে চার-চারটি বছর। তবে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রতিবারই। এবার তার পুরস্কারও পেলেন। “শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা আজ থেকে পাঁচ-ছয় বছর আগে খেলেছি। তবে কখনো নেতিবাচক চিন্তা মনে আনিনি। আর ‘এ’ দলের হয়েও তো খেলেছি। কঠোর পরিশ্রম করেছি। সেটাই আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে”—পরশু বোশেজো স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে বলছিলেন জনসন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর টেস্ট অভিষেকের সুযোগ এসেছে বলেই হয়তো ব্যাপারটা তাঁর কাছে স্বপ্নপূরণের মতো, ‘কয়েক বছর ধরেই কঠোর পরিশ্রম করছিলাম। সেটার পুরস্কার পেলাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট খেলা ৩০০তম ক্রিকেটার হওয়াটাও বিশেষ কিছু।’সত্যিই তো! ৫০০তম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩০০তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে শুরু—জনসনের অভিষেকের জন্য এর চেয়ে ভালো উপলক্ষ আর কী হতে পারত! প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশের বোলিংও চলে এল আলোচনায়। জনসন অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না, ‘বোলিং নিয়ে মন্তব্য করতে পারব না। তবে প্রথম সেশনে তারা ভালো বল করেছে। ভালো জায়গায় বল ফেলেছে। ওই সময় উইকেটেরও সাহায্য পেয়েছে বোলাররা।’কথাটা মানেন আল আমিনও। তার পরও আফসোস, উইকেটের সুবিধা নিয়ে শুরুতেই ভাঙন ধরাতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে, ‘আমরা পেসাররা ভালো শুরু করতে পারিনি। ভালো শুরু করতে পারলে আমাদের অবস্থা আরও ভালো থাকত। পেস বোলাররা ভালো বল করলে ওরা এত বড় জুটি গড়তে পারত না।’আল আমিন-শফিউলরা উইকেটের সুবিধা নিতে না পারলেও নিজেদের মাঠে সে ভুল করবেন কেন কেমার রোচ-জেরোম টেলররা? বোশেজোতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে তাই একটাই পথ খোলা—আল আমিনের পরামর্শ নিয়ে অনুসরণ করতে হবে লিওন জনসনকে। | 93,367 |
আমার চট্টগ্রাম প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০০:১৭ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০০:১৭ | আমার চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | আলমগীর আলাউদ্দিনের গজলসন্ধ্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1158971 | গজলের সুর ও কথার মাধুর্যে শ্রোতাদের মুগ্ধতায় ভাসালেন শিল্পী আলমগীর আলাউদ্দিন। ২৩ এপ্রিল রাত আটটায় নগরের পূর্ব নাসিরাবাদের একটি রেস্তোরাঁয় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে একক গজল সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আজকাল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। আসরে অতিথি ছিলেন নাট্যজন মনোজ সেনগুপ্ত, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক নুরুল আজম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি পংকজ বৈদ্য, মিলাঞ্জ রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর। আবছার উদ্দিনের সঞ্চালনায় আসরে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিল্পী অনামিকা তালুকদার।প্রায় দেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠানের শুরুতে আলমগীর আলাউদ্দিন পরিবেশন করেন মেহেদি হাসানের ‘রাফতা রাফতা ও মেরি’ গজল দিয়ে। এরপর তিনি গাইলেন ‘গজল পেয়ার ভারে দো’, ‘চুপকে চুপকে রাত দিন’, ‘লাগ যা গলে কে ফির’, ‘চিঠি আয়ি হ্যায়’, ‘চান্দহি যেসা রং হে তেরি’, ‘থোড়ি থোড়ি পিয়া করো’। এ ছাড়া দর্শকদের অনুরোধে শিল্পী গেয়ে শোনান জগজিৎ সিংয়ের গাওয়া গান ‘বেশি কিছু আশা করা ভুল’।এরপরে তিনি গাইলেন হিন্দি গান ‘বাহরোঁ ফুল বারসাও’, ‘হাম হে তুম সে পেয়ার কিতনা’ ও ‘হ্যায় মেরে হামসফর’। সবশেষে তিনি গাইলেন নুসরাত ফতে আলী খানের ‘তুম হে দিল্লাগি ভুল জানি পড়ে গি’। গানের সঙ্গে কি-বোর্ড অসীম চন্দ্র, তবলা রাজীব নন্দী এবং অক্টোপ্যাড বাজান বিপ্লব। | 314,105 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০৩ | ১১ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০৪ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | পয়োব্যবস্থা নিয়ে দক্ষিণ এশীয় সম্মেলন আজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/737059 | ভালো পয়োব্যবস্থা, ভালো জীবন—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ দক্ষিণ এশিয়া পয়োনিষ্কাশন সম্মেলন। এতে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের ৫০০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। এতে সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি খায়রুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনটিতে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের প্রতিনিধি থাকলেও পাকিস্তানের কেউ ছিলেন না।দক্ষিণ এশিয়ার পয়োনিষ্কাশন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনটি হলেও গণমাধ্যমকর্মীদের বেশির ভাগের প্রশ্ন ছিল সম্মেলনে পাকিস্তান থেকে কোনো প্রতিনিধি না আসার বিষয়টিকে ঘিরে। নেপাল থেকে আসা একজন সাংবাদিক নেপাল সীমান্তে ভারতের অবরোধের বিষয়টিকে তুলে ধরে তা নেপালের পয়োনিষ্কাশনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সমস্যা তৈরি করছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন। পাকিস্তান থেকে কোনো প্রতিনিধিদল না আসা প্রসঙ্গে খায়রুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পাকিস্তানের ৬০ সদস্যের প্রতিনিধিদল আসার কথা থাকলেও পরে তারা ৪৪ জনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিসা চায়। কিন্তু ওই ভিসা চাওয়ার পর মাত্র এক দিন কর্মদিবস ছিল। ফলে কারিগরি কারণে তাদের ভিসা হয়নি।সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থার সফলতা নিয়ে এক উন্মুক্ত আলোচনাপর্বের আয়োজন করে কমিউনিটি লেড টোটাল স্যানিটেশন ও দ্য ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন কোলাবরেশন কাউন্সিল। | 191,320 |
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জুন ২০১৬, ০১:১৯ | ২২ জুন ২০১৬, ০১:২১ | শিবগঞ্জ,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | টুপি তৈরিতে ব্যস্ত শিবগঞ্জের নারীরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/895450 | ঈদ সামনে রেখে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ নারীরা এখন টুপি তৈরি করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দ্রুত সংসারের কাজ সেরে তাঁরা হাতে তুলে নিচ্ছেন ক্রুশকাঠি আর সুতার গুটি। ঈদ সামনে রেখে রোজার কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয় টুপি তৈরিতে তাঁদের ব্যস্ততা।চার-পাঁচজন নারী কারিগর ও দুজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এ উপজেলার প্রায় ১৬টি গ্রামে কমপক্ষে দুই হাজার বিভিন্ন বয়সের নারী কারিগর রয়েছেন। এ উপজেলা থেকে প্রতিদিন এসব নারী প্রায় তিন হাজার টুপি তৈরি করেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে এসব টুপি কিনে নিয়ে আসেন। পরে টুপিগুলো রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর-গঞ্জে চলে যায়। সেখান থেকে টুপিগুলো পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হয়।উপজেলা সদর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে সুদামপুর গ্রাম। সরেজমিনে ১৬ জুন বিকেলে এ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাড়িতেই চলছে টুপি তৈরির উৎসব। বাড়ির উঠান ছাড়াও গ্রামের এখানে-সেখানে দুজন-তিনজন থেকে বেশ কয়েকজন নারী মিলে গল্প করতে করতে টুপি তৈরি করছেন। তাঁদের কারও কোলে শিশু, কারও পাশে বা আশপাশে ছোটাছুটি করছে শিশু। এসব শিশুর দিকে নজর রাখার সঙ্গে সঙ্গে ক্রুশের বুননে অথবা সুই-সুতার গাঁথুনিতে এসব নারী নানা নান্দনিক ডিজাইনে বুনে চলেছেন একেকটি টুপি।গ্রামের গৃহবধূ আমেনা বেগম বলেন, প্রতিদিন তিনি এক থেকে দুটি টুপি বানাতে পারেন। প্রতিটি টুপি তিনি ৫০ টাকা করে বিক্রি করেন। বছরের এ সময়টাতে বাড়ির কাজের ফাঁকে ফাঁকে টুপি তৈরি করে মাসে তাঁর দেড় হাজার টাকার মতো আয় হয়। সারা বছরই টুপি তৈরির কাজ করলেও ঈদের সময় দম ফেলারও ফুসরত থাকে না বলে জানান এ গৃহবধূ।গ্রামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বীথি আকতার বলে, ‘এখন আমার স্কুল বন্ধ। তাই টুপি বুনছি।’গৃহবধূ শাকিলা পারভীন জানান, এক গুটি সুতা দিয়ে (বোম) সাত থেকে আটটি টুপি তৈরি করা যায়। এক গুটি সুতার দাম ৫০ টাকা। আর প্রতিটি টুপি তাঁরা বিক্রি করেন ৫০ টাকা।বাদশা মিয়া নামের এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, তিনি উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে টুপি কিনে পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন।টুপির পাইকারি ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, গ্রামে গ্রামে ঘুরে কারিগরদের কাছ থেকে টুপি কিনে তাঁরা ঢাকার চকবাজারের আড়তে বিক্রি করেন। চকবাজারের আড়ত থেকে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। | 234,662 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২২ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০১ | ২২ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৩ | সংস্কৃতি | 0 | শেষ হলো আব্দুল জব্বার খান জন্মশতবর্ষ উৎসব | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/837064 | প্রথম বাংলা ছবি মুখ ও মুখোশ-এর পরিচালকের জন্মশতবর্ষ উৎসব শেষ হয়েছে গতকাল। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিল আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন। আরও ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী রফিকুল আলম ও আব্দুল জব্বারের পরিবারের সদস্যরা। | 222,693 |
শেরপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৩৬ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৩৮ | শেরপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা | 0 | ঝিনাইগাতীতে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1032021 | শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে উত্তম মারাক (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। উত্তম উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের মৃত মদন সাংমার ছেলে। গত বুধবার রাতে সন্ধ্যাকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ নিয়ে পাঁচ মাসে বন্য হাতির আক্রমণে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী সীমান্তে ১২ জন নিহত হলেন। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ী গ্রামে হাতির আক্রমণে ইয়ার আলী নামের এক বৃদ্ধ নিহত হন।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাতটার দিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা একদল বন্য হাতি খাবারের সন্ধানে সন্ধ্যাকুড়া গ্রামে এসে তাণ্ডব চালায়। এ সময় হাতির দলকে তাড়াতে গিয়ে উত্তম মারাক হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হলে বুধবার রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, গতকাল উত্তম মারাককে গ্রামের বাড়িতে সমাহিত করা হয়েছে। এখনো এলাকায় হাতি অবস্থান করছে এবং এলাকাবাসী হাতির আতঙ্কে ভুগছেন। | 270,693 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:২৬ | ১৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:২৭ | অপরাধ | 0 | ইয়াবাসহ বিজিবির সদস্য ও তাঁর স্ত্রী গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1292036 | রাজশাহীতে ইয়াবা বড়িসহ এক বিজিবি সদস্য ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নগরের গুড়িপাড়া থেকে গতকাল বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তার করে রাজপাড়া থানা-পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন দিনাজপুরের মেহেরপুর এলাকার আফসার আলীর ছেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য গোলজার হোসেন (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী রাকিবা খাতুন (২৫)। গোলজার বিজিবি সদর দপ্তরে কর্মরত বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি রাজশাহী নগরের গুড়িপাড়ায়। এই দম্পতির বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, সকালে গোলজারের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বিক্রির সময় তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়। এ সময় ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। গোলজার বিজিবি সদস্য বলে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। | 333,339 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১৮ জুন ২০১৯, ০০:০৪ | ১৯ জুন ২০১৯, ১০:১১ | ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল,বাংলাদেশ ক্রিকেট,ওয়েস্ট ইন্ডিজ | null | আপনার চোখে বাংলাদেশের ১১ জনের পারফরম্যান্স | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1599739 | আজ ২০১৯ বিশ্বকাপে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়য়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৩২২ তাড়া করতে নেমে ৫১ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছেন সাকিবরা। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। রানের হারে ছিল ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক। এ ম্যাচে দলের ১১ জনের পারফরম্যান্স সমর্থকদের কার কেমন লেগেছে? কে কে পাস নম্বর পেলেন, কারও পারফরম্যান্সে আরও উন্নতি দেখতে চান কি না, সেসব মতামত এখানেই জানিয়ে দিন। | 406,534 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:১৩ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:১৪ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর | 0 | সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান | http://www.prothom-alo.com/technology/article/51589 | বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং ইনসাইট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (আইবিএফ) উদ্যোগে শনিবার ‘সাইবার অপরাধ ও আইন সচতেনতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, সাইবার আইনকে আরও সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট করার পাশাপাশি এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন আইবিএফের চেয়ারম্যান রাশিদ আলী খান। সঞ্চালনা করেন বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান।বৈঠকে সাইবার অপরাধ বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়ায় যেন ঢালাওভাবে ইন্টারনেট নিয়ে নেতিবাচক কিছু প্রচার না হয়, সে ব্যাপারেও জোর দেওয়া হয়।বৈঠকে জানানো হয়, সচেতন করে তুলতে এবং তাৎক্ষণিক পরামর্শ দিতে একটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে, যার ফোন নম্বর ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮।বৈঠক শেষে সাইবার নিরাপত্তা ও সাইবার আইন বিষয়ে বেসিস ও আইবিএফের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। —বিজ্ঞপ্তি | 20,771 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩৯ | ১৭ আগস্ট ২০১৫, ০১:৪০ | বিশাল বাংলা,সিলেট | 0 | এইচএসসির ফল ঘোষণার দিন থেকে নিখোঁজ অক্ষয় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/604804 | ‘এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আশা ছিল এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পাবে। কিন্তু এ পেয়েছে। ফলাফল জানার পর থেকে ছেলেটা নিখোঁজ। প্রথম দিন ভাবছিলাম মন খারাপ করে কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে। থানায় জিডি করেছি, আত্মীয়দেরও জানিয়েছি। তবু খোঁজ মিলছে না। আমি এখন কী করি?’এ রকম আর্তনাদ নিয়ে গত বুধবার রাতে প্রথম আলোর সিলেট কার্যালয়ে এসেছিলেন জ্যোৎস্না রানী দাস। সিলেট নগরের পনিটুলা এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্নার ছেলে অক্ষয় দাসকে এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণার দিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।জ্যোৎস্না জানান, তাঁর দুই ছেলের মধ্যে অক্ষয় ছোট। বড় ছেলে দুবাইপ্রবাসী। এইচএসসির ফল ঘোষণার দিন জিপিএ-৫ পাবে, এমন আশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় অক্ষয়। সে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। ছেলে না ফেরায় মুঠোফোনের মাধ্যমে ফলাফল জেনেছেন। ওই দিন বিকেলে অক্ষয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছিলেন তাঁর এক বোন। কাঙ্ক্ষিত ফল না হওয়ায় মন খারাপের কথা জানিয়েছিল।গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত অক্ষয়ের খোঁজ মেলেনি। উদ্বিগ্ন সহপাঠীরা অক্ষয়ের ছবিসংবলিত পোস্টার সাঁটিয়ে সন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেন বলেন, বিভিন্ন থানায় অক্ষয়ের খোঁজে বার্তা পাঠানো হয়েছে। | 160,692 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:২৮ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:২৮ | ইউরোপ | 0 | প্যারিসে আইএস নাম নিয়ে শিক্ষকের ওপর হামলা | http://www.prothom-alo.com/international/article/712402 | ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে গতকাল সোমবার একজন শিক্ষককে ধারালো বস্তু দিয়ে হামলা করেছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নাম উল্লেখ করা এক ব্যক্তি। পুলিশ ও কৌসুলির কার্যালয়ের সূত্র এ কথা জানায়। খবর এএফপির।হামলার শিকার শিক্ষক প্যারিসের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত অবেরভিলিয়ের জঁ্য–পেরাঁ স্কুলে কাজ করেন। শ্রেণীকক্ষে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এক ব্যক্তি তাঁর ওপর প্যাকেট কাটার উপযোগী ছুরি ও কাচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। লোকটি শিক্ষকের শরীরের এক পাশে এবং গলায় আঘাত করেন। তবে তাঁর আঘাত তেমন গুরুতর নয়। হামলাকারী ব্যক্তির পরনে রঙমিস্ত্রি বা চিত্রশিল্পীদের ব্যবহৃত ওভারঅল এবং শুধু চোখ দেখা যায় এমন মুখোশ ছিল।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রেণিকক্ষে পড়ে থাকা ধারালো অস্ত্রটি দিয়ে শিক্ষককে আঘাত করে ওই ব্যক্তি। তিনি সে সময় চিৎকার করে বলেন, ‘এটা দায়েশের কাজ। এটা একটা হুঁশিয়ারি।’ উল্লেখ্য ‘দায়েশ’ আরবি ভাষায় আইএসের আরেক সংক্ষিপ্ত নাম। হামলার পরপরই লোকটি পালিয়ে যান।আইএস-এর ফরাসী ভাষায় প্রকাশিত একটি পত্রিকার নভেম্বর মাসের সংখ্যায় ফ্রান্সের শিক্ষকদের হত্যা করতে অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানায়। ওই আহ্বানে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতার শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে তাঁরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত।প্যারিসে গত ১৩ নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সে উচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। ওই ঘটনার পর স্কুলগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।অবেরভিলিয়ের জনসংখ্যা ৭৬ হাজার। এর মধ্যে বড়সংখ্যক অভিবাসী রয়েছে। তাদের বেশির ভাগই উত্তর আফ্রিকার। | 183,678 |
যশোর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জুলাই ২০১৬, ০০:৩৪ | ১৭ জুলাই ২০১৬, ০০:৩৫ | যশোর | 0 | সাবেক সাংসদ আলী রেজার দাফন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/916387 | আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আলী রেজা রাজুর (৭০) দাফন গতকাল শনিবার সম্পন্ন হয়েছে।আলী রেজার মরদেহ গতকাল যশোর শহরের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সড়কে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ। পরে যশোরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। তিনি গত শুক্রবার ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে যশোর সদর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। | 240,906 |
কুড়িগ্রাম অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৫০ | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৫২ | -1 | 0 | কুড়িগ্রামে বাড়ছে বন্যার পানি, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1287561 | অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এর মধ্যে কয়েকটির পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে বন্যায় জেলার নয়টি উপজেলায় সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সদরে কল্যাণ এলাকায় ধরলা নদীর বাঁধ ভেঙে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। সাপের কামড়ে ও পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের তিনটি জায়গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বন্যার পানি। অচল হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। ভেঙে গেছে কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী উপজেলা সড়কের কিছু অংশ। এই সড়কের পাশে আরডিআরএস বাজারে ভাঙনকবলিত এলাকায় ৩০টি দোকান ভেঙে গেছে। রাজারহাটের কালুয়ারচরে বেড়িবাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে ২০টি বাড়ি। পানির কারণে ফুলবাড়ীর সঙ্গে নাগেশ্বরী উপজেলার যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়াও উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়ক মণ্ডল গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের ২০ ফুট অংশ ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে পানি উঠেছে।ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও জানান, পুরো উপজেলায় ২৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে।ভূরুঙ্গামারীর ইউএনও মো. আজাহারুল ইসলাম জানান, এই উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে।পাউবো জানায়, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বেলা একটায় ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ মিটার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে ধরলার পানি ১ মিটার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে আর তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদ-নদীর মাঝে রয়েছে প্রায় ৪২০টি চর। সেখানকার দুই লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দী।ভূরুঙ্গামারীতে বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বলেন, ভারতের তুফানগঞ্জে কালজানী নদীর নোটাফেলা বাঁধ খুলে দেওয়ায় এই ইউনিয়নের কাজিয়ার চর উত্তর ধলডাঙ্গা, দক্ষিণ তিলাই গ্রাম তলিয়ে গেছে। নৌকা না থাকায় জনসাধারণকে উদ্ধার করতে অসুবিধা হচ্ছে।কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বন্যাকবলিত মানুষের কাছে বরাদ্দ দেওয়া হবে।দুজনের মৃত্যুসাপের কামড়ে সদর উপজেলার খামার হলোখানা গ্রামে জোছনা নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মারা গেছে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ভেলাকোপা গ্রামের দেড় বছরের এক শিশু। | 332,433 |
রমজান মাহমুদ | education | শিক্ষা | ১১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:১০ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:১২ | পড়াশোনা | 0 | গ ণি ত | http://www.prothom-alo.com/education/article/95452 | উপপাদ্য প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য থাকছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপপাদ্যের এক্সট্রার সমাধান।প্রশ্ন: ABC সমকোণী ত্রিভুজে A= এক সমকোণ। BE ও CF মধ্যমা। প্রমাণ করো যে 4(BE2+CF2) = 5BC2সমাধান:বিশেষ নির্বচন: দেওয়া আছে, ABC সমকোণী ত্রিভুজে A=এক সমকোণ।অর্থাৎ, BAC=90হ্ন, BE এবং CP যথাক্রমে AC এবং AB বাহুর মধ্যমা।প্রমাণ করতে হবে যে 4(BE2+CF2)=5BC2প্রমাণ: যেহেতু, BE, AC বাহুর মধ্যমা (দেওয়া আছে) AE=CF= 1/2 ACআবার, যেহেতু CF, AB বাহুর মধ্যমা (দেওয়া আছে) AF=BF= 1/2 ABসমকোণী ABC-এ অভিভুজ BC BC2=AB2+AC2..................(i) [পীথাগোরাসের উপপাদ্য অনুসারে]আবার, সমকোণী ABE-এ অতিভুজ BE BE2=AB2+AE2..................(ii)এবং সমকোণী ACF-এ অতিভুজ CFCF2=AC2+AF2...................(iii)এখন সমীকরণ (ii) ও (iii) যোগ করে পাইBE2+CF2 = AB2+AE2+AC2+AF2= AB2+AC2+AE2+AF2= BC2+AE2+AF2 [সমীকরণ (i)-এ BC2=AB2+AC2]বা, 4(BE2+CF2) = 4BC2 + 4AE2 + 4AF2[উভয় পক্ষকে 4 দ্বারা গুণ করে]= 4BC2 + (2AE)2 + (2AF)2= 4BC2+AC2+AB2[ AE=AC এবং AF= AB]= 4BC2+BC2 [ সমীকরণ (i) থেকে] 4(BE2+CF2) = 5BC2 .(প্রমাণিত)সহকারী শিক্ষক, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল, ঢাকা | 34,914 |
প্রতিনিধি, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ২১:১৭ | ২২ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৮ | নারী নির্যাতন,অপরাধ,ধর্ষণ,পাটগ্রাম,লালমনিরহাট,রংপুর বিভাগ | null | বাস কাউন্টারে ধর্ষণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1584633 | লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের একটি নৈশকোচের স্থানীয় কাউন্টারে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় যশোদা পরিবহনের বাস কাউন্টারে বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করেছে। ওই নারীর বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলায়। আর গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রেজাউল ইসলাম (৩৫)। তিনি বুড়িমারী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল ইসলামসহ বুড়িমারী ইউনিয়নের তিন যুবক পাশের উপজেলার এক যুবকের যোগসাজশে ওই নারীকে ভারতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাস্থলে আনেন। গত রোববার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরগামী একটি নৈশকোচে করে গত সোমবার সকালে তাঁকে পাশের উপজেলা হাতীবান্ধায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই দিন বিকেলে রেজাউল ইসলামসহ ওই চার যুবক ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাতীবান্ধা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিয়ে আসেন ওই নারীকে। এরপর তাঁকে কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার নাম করে যশোদা বাস কাউন্টারে নিয়ে গিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। সেখানেই তাঁকে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তালাবন্ধ একটি কক্ষ থেকে ধষর্ণের শিকার ওই নারীর চিৎকার শুনে আশপাশের নৈশকোচের যাত্রীরা জানতে চান বন্ধ কক্ষে নারী কেন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি ধর্ষণের অভিযোগে রেজাউলকে থানায় নেয় পুলিশ।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনছুর আলী সরকার বলেন, আটক রেজাউলসহ চারজনের নামে ধষর্ণের অভিযোগে ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পাশাপাশি ওই নারীকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। | 394,640 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৭ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫৮ | দুর্ঘটনা | 0 | কামরাঙ্গীরচরে ১৩ দোকান পুড়ে গেছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1089427 | রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নুরবাগ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি আধা পাকা দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোর ছয়টার দিকে একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র মোদক বলেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। এতে ১৩টি দোকান পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করেছে। | 296,954 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০৩ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০৩ | ঢালিউড,আনন্দ | 0 | ভাড়া করা বিমানে দুই দিন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/329113 | ভাড়া করা বিমানে টানা দুই দিন কাজ করেছেন নায়ক এম এ জলিল অনন্ত। তবে তা কোনো চলচ্চিত্রের জন্য নয়, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ফটোশুটে তিনি অংশ নিয়েছেন। অনন্তর এই ফটোশুট হয়েছে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে।অনন্ত বলেন, ‘আমি যা করেছি, সবকিছুর মধ্যে ভিন্নতা রাখার চেষ্টা করেছি। এই কাজটিও তেমনই হয়েছে। এবারই প্রথম ফটোশুটে অংশ নিয়েছি। তাই বেশ আয়োজন করে কাজটি করা হয়েছে।’অনন্ত জানান, তাঁর এই ছবিগুলো নিয়ে সামনে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। ওই প্রদর্শনীতে দেশের আরও কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার ছবি থাকবে।এদিকে অনন্ত এখন তাঁর পরবর্তী ছবি নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছেন। তাঁর এবারের ছবি দ্য স্পাই: অগ্রযাত্রার মহানায়ক। ছবিতে অভিনয় করবেন অনন্ত ও বর্ষা। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবিটি পরিচালনা করবেন অনন্ত। | 96,414 |
নেয়ামতউল্যাহ, ভোলা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ মে ২০১৬, ০২:০৬ | ২৫ মে ২০১৬, ০২:০৭ | ভোলা,বরিশাল বিভাগ,খবর | 0 | ‘ঝড়ে ঘরের ভিটা ছাড়া সব উড়ে গেছে’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/867919 | ‘মেঘনার ভাঙনে সব শেষ হয়ে গেছিল। ঋণ করে একখণ্ড জমি কিনে এই চরনাপ্তায় বাড়ি করি। ঝড়ে ঘরের ভিটা ছাড়া সব উড়ে গেছে। এখন ঘর দাঁড় করানোর টাকা কোথায় পাব।’ ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে সহায়সম্বল সব হারিয়ে এমনই অসহায় অবস্থার কথা বলেন ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চরনাপ্তা গ্রামের অটোচালক আবদুল কাদের।গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শত শত গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে ঝড়ের তাণ্ডবে। ভেসে গেছে ফসলের খেত। চারদিকে ঝড়ের তাণ্ডবের চিহ্ন। বিধ্বস্ত হয়েছে অধিকাংশ ঘরবাড়ি।বাপ্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম চরনোয়াবাদ গ্রামে নিজ ভিটার ওপর বসে আছেন বিবি মরিয়ম। ভিটার ওপর ভিজে পচে যাওয়া বীজধানের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলছেন, রক্ত পানি করা উপার্জন এমনে ধ্বংস হয়ে গেল!মরিয়মের স্বামী আবু কালাম ১ একর ৬০ শতাংশ জমি চাষ করে পরিবারের খাওয়ার জন্য ১২ বস্তা ধান এবং পরবর্তী চাষাবাদের জন্য ৭ বস্তা বীজধান রেখেছিলেন ঘরে। ঝড়ে সব ধানই উড়ে গেছে অথবা বৃষ্টিতে ভিজে পচে গেছে। সারা বছর সন্তানদের কী খাওয়াবেন আর আগামী বছর কী দিয়ে চাষাবাদ করবেন, তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই মরিয়মের। ঝড়ে খাবারের চাল, খেতের বীজ, পরিধানের পোশাক, সন্তানের পড়ার বই, নগদ টাকা—সবই উড়ে গেছে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত। তিনি বললেন, ‘জামাই গরু বেইচ্যা টিয়ার বান্ডিল আইন্যা রাইকছে ঘরে। ঘরও নাই, টিয়াও নাই।’শুধু বাপ্তা ইউনিয়ন নয়, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে পাশের রাজাপুর ও পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন।ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভোলার সাতটি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে চার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে আছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ। সদর ও তজুমদ্দিন উপজেলা ঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন গ্রামে হাজার হাজার গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে আছে। ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভূবতী রঞ্জন বাড়ির মৃণাল নন্দী (৪৯) নিহত হয়েছেন।স্থানীয় বাসিন্দা জয় চন্দ্র দে বলেন, ঝড়ের সময় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র (ওজোপাডিকো) সেগুলো সংস্কার না করে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন সচল রেখেছে। ফলে ঝড়ের পরে ১০ থেকে ১২ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। বাপ্তা ইউনিয়নের একটি পুকুরে তার পড়ে ছিল। মৃণাল নন্দী পুকুরে নামলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।ভোলা পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মো. কেফায়েত উল্যাহ বলেন, ঝড়ে ভোলায় ৬০০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ-লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়েছে।সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সংগ্রাম করছেন। ঝড়ে উড়ে যাওয়া মালামাল, আসবাব, ঘরের চাল, খুঁটি, টিন খুঁজে রোদে শুকাচ্ছেন। এমনকি ঘর ও গাছচাপায় আহত ব্যক্তিরাও হাতে-পায়ে ক্ষত নিয়ে এসব কাজ করছেন। ছাত্ররা তাদের ভেজা বই শুকাচ্ছে। | 225,957 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জুন ২০১৬, ০১:১৫ | ১৯ জুন ২০১৬, ০১:২১ | বিশাল বাংলা | 0 | একজন নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/892204 | কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নছিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম আহম্মদ আলী (৪২)। তিনি মিঠামইন উপজেলা সদরের বাসিন্দা। গতকাল কটিয়াদী পৌর শহরের ভোগপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্র জানায়, করিমগঞ্জ উপজেলার চামড়াঘাট থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ভৈরবের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোগপাড়ায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি নছিমনের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার যাত্রী আহম্মদ আলী মারা যান। | 233,722 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ মার্চ ২০১৬, ০১:২৬ | ২০ মার্চ ২০১৬, ০১:৩২ | অপরাধ | 0 | দুর্বৃত্তের আগুনে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/803974 | নাটোরের নলডাঙ্গার খাজুরা গ্রামে জেলেদের দেড় লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ১০০ হাত লম্বা একটি জাল পুড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর রাতে। নলডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, খাজুরা গ্রামের আত্রাই নদীর তীরে ২২ জন জেলে পরিবার বাস করে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা জালটি নদীর পাড়ে শুকাতে দিয়ে বাড়ি চলে যান। গতকাল ভোররাতে জাল পোড়ার গন্ধে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। পরে তাঁরা গিয়ে দেখেন জালটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে গতকালই তাঁরা নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছেন। | 212,556 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০১ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৪৭ | প্রতিষ্ঠানের খবর,খবর | 0 | দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর বাড়ি নির্মাণে এসবিএসি ব্যাংকের সহায়তা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1041947 | সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অংশ হিসেবে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেড কুমিল্লার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হারিছ মিয়াকে বাড়ি নির্মাণে ৫ লাখ টাকা দিয়েছে। সম্প্রতি এসবিএসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে হারিছ মিয়ার হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জালাল উদ্দিন আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মো. গোলাম নবীসহ প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। বিজ্ঞপ্তি | 275,330 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৪৯ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০০:১১ | ক্রিকেট | null | ‘জাদুটোনা’ তো হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1424756 | • ডি ভিলিয়ার্স, ডু প্লেসির পর চোটে পড়েছেন ডি কক। • লেগ স্পিনের জুজু কাটাতে পারছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার বর্ণনায় মজার এক কথা বলেছেন পাকিস্তান দলের ম্যানেজার। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখে নাকি নাদিম খানের মনে হচ্ছিল, দলের ওপর জাদু টোনার প্রভাব পড়েছে। ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই এমন কথা বললে দক্ষিণ আফ্রিকা দল তো বলতেই পারে, ‘ওসব ছাড়, আসল জাদু টোনা তো হচ্ছে আমাদের সঙ্গে!’ ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলের মূল তিন ব্যাটিং ভরসা চোটে ছিটকে পড়ার পর এমনটা তারা বলতেই পারে!সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই এবি ডি ভিলিয়ার্স ছিটকে গেছেন তিন ম্যাচের জন্য। প্রথম ম্যাচে চোট পেয়েছেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। বাকি সিরিজটা আর মাঠে ফেরা হচ্ছে না তাঁর। এবার কবজির চোট কেড়ে নিল কুইন্টন ডি কককে। দলের সেরা তিন ব্যাটসম্যানকে ছাড়াই তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। হঠাৎ করেই অধিনায়কত্ব বুঝে পাওয়া এইডান মার্করামের জন্য ভারটা বোধ হয় একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে।জাদু টোনার প্রভাব আছে কি নেই—সেটা ওঝারা বুঝে নিক। আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকানরা খুঁজছে অন্য এক ‘জাদু’ থেকে বাঁচার উপায়। প্রথম দুই ওয়ানডেতেই লেগ স্পিনের ভেলকিতে শেষ হয়ে গেছে স্বাগতিক দল। যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদব দুই ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন, সেটাও ১০-এর কম গড়ে! খুব দ্রুত লেগ স্পিন খেলার উপায় বের করতে না পারলে সিরিজ তো হারতে হবেই, ধবল ধোলাই হওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা আছে প্রোটিয়াদের। | 353,920 |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৩১ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৩২ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনকে ওএসডি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1073023 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন পদে চলতি দায়িত্ব পাওয়া আবু ছালেহ মো. মুসা খানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নিশিত নন্দী মজুমদার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে আবু ছালেহ মো. মুসা খানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে বলা হয়। নিশিত নন্দী মজুমদারকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন হাসিনা আক্তার ১ জানুয়ারি থেকে অবসর-প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে (এলপিআর) যান। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহআলমের কাছে সিভিল সার্জনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। হাসিনা আক্তার এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে অবগত করেন। এর আগেই গত ২৭ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুসা খানকে জেলার সিভিল সার্জনের চলতি দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই আদেশে ৩১ ডিসেম্বরের পর তাঁকে যোগদান করতে বলা হয়। মন্ত্রণালয়ের আদেশ নিয়ে মুসা খান ২ জানুয়ারি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগদান করতে গেলে শুরু হয় জটিলতা।গতকাল দুপুরে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শাহআলম নতুন সিভিল সার্জন নিশিত নন্দী মজুমদারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এ সময় আবু সালেহ মুসা খানও উপস্থিত ছিলেন।গত ৬ জানুয়ারি প্রথম আলোতে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জনের চেয়ার স্বাচিপ নেতার দখলে?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। | 289,918 |
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:২৮ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:১০ | আইন ও বিচার | null | অতিরিক্ত যাত্রী, পর্যটকবাহী জাহাজকে জরিমানা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1419996 | ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী বে-ক্রুজ নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করা হয়। ইউএনও মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিন নৌপথে প্রতিদিন পর্যটকবাহী নয়টি জাহাজ চলাচল করে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় জাহাজগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বে-ক্রুজ জাহাজে ২৫১ জনের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ৮৭ জন যাত্রী ছিল। এ কারণে ওই জাহাজের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জাহাজগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের অভিযোগে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচটি অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এতে জাহাজ এলসিটি কুতুবদিয়াকে দুই লাখ টাকা, এসটি খিজিরকে এক লাখ, এমভি পারিজাতকে ৪০ হাজার, এসটি শহীদ সুকান্ত বাবুকে ১৫ হাজার ও বে-ক্রুজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। | 353,110 |
প্রতিনিধি, পাবনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৭ | ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৪ | নির্বাচন,বিএনপি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,পাবনা | null | পাবনায় আসন হাতছাড়ার আশঙ্কা জামায়াতের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1567341 | পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়ার একাংশ) ও পাবনা-৫ (সদর) আসন দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতে ইসলামীর দুই শীর্ষ নেতার দখলে ছিল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আসন দুটিতে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছিলেন দলটির নেতা-কর্মীরা। কিন্তু পাবনা-৫ আসনে মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। গতকাল বুধবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।অন্যদিকে গত সোমবার আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামে যোগ দিয়ে পাবনা-১ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। গতকাল তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অবশ্য এই আসনে গতকাল বিএনপি থেকে সালাউদ্দিন খান নামের একজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এতে দুটি আসনই জামায়াতের হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।গতকাল পাবনা-১ আসনে বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল বাসেত খান, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মণ্ডল ও পাবনা-৫ আসনে (সদর) জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অপরদিকে পাবনা-১ আসনে জামায়াতের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিবুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবনা-১ আসনে দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াত শক্ত অবস্থানে ছিল। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে মতিউর রহমান নিজামী এই আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালে জামায়াতের শক্ত অবস্থানে প্রথম ধাক্কা দেন আওয়ামী লীগ থেকে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার জয়লাভ করেন নিজামী। ২০০৮ সালে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন আওয়ামী লীগের অপর নেতা শামসুল হক। ফলে আসনটিতে জামায়াতের অবস্থান নষ্ট হতে থাকে। এরপর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর আসনটিতে জামায়াত কোণঠাসা হয়ে পড়ে।এদিকে পাবনা-৫ আসনে জামায়াতের নেতা আবদুস সুবহান বেশ কয়েকবার নির্বাচন করলেও অবস্থান তৈরি করতে পারছিলেন না। ১৯৯৬ সালে আসনটিতে নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বকুল। ২০০০ সালে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে আসনটিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন আবদুস সুবহান। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করছেন শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।জেলা জামায়াতের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এই জেলার তিনটি আসনে তাঁদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন, তিনটি আসনেই বিএনপি জোট থেকে তাঁদের প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে এবং তাঁরা তাঁদের দাবির প্রতি অনড় আছেন।আর পাবনা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পাবনা-৫ আসন বিএনপিরই ছিল। আগে জোটের কারণে জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হয়। তবে এবার দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী শিমুল বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছিলেন। তাঁর মনোনয়নপ্রাপ্তিতে সবাই খুশি। তবে পাবনা-১ আসনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগ দেওয়ায় নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, কোনো আসনই এখনো পর্যন্ত জামায়াতকে দেওয়া হয়নি। | 384,207 |
শিশির মোড়ল ও সুজন ঘোষ, চট্টগ্রাম থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৩৫ | ২৮ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৩৫ | চট্টগ্রাম বিভাগ | null | ২২ জনের কাজ করেন একজন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/203596 | চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি বা কেন্দ্রীয় ওষুধ পরীক্ষাগারের ৭২ শতাংশ পদ শূন্য। ২২ জনের কাজ করছেন একজন। আর এই একজন সহকারী জীবাণুবিদের ওপর নির্ভর করে চলছে ওষুধের মান পরীক্ষার কাজ। পরীক্ষাগারে পাঠানো ওষুধের অর্ধেকেরই মান যাচাই করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খুঁড়িয়ে চলা এই প্রতিষ্ঠানের অনেক সম্পত্তি ইতিমধ্যে বেদখল হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিকমতো অফিসে আসেন না। পরিচালক এ ও মুশফিকুর রহমান বলেন, জনবল নিয়োগ দেওয়া ও বেহাত সম্পত্তি ফেরত নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। ২৪ এপ্রিল বেলা দুইটায় আগ্রাবাদে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কেউ নেই। মূল পরীক্ষাগার ও পরিচালকের কক্ষ খোলা। অন্য কক্ষগুলো বন্ধ, তবে তালা দেওয়া নয়। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে একজন কর্মকর্তা জানান, তিনি একটু আগে খেতে বাসায় গেছেন, এক্ষুনি অফিসে ফিরবেন।ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পরিচালকসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফিরে আসেন। সূত্র জানায়, এই প্রতিষ্ঠানে জীবাণুবিদ, ওষুধবিদ, রসায়নবিদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ আছে ৪৩টি। পরিচালক জানালেন, ৩১টি পদই শূন্য। মাত্র ১২ জন জনবল দিয়ে চলছে কেন্দ্রীয় এই ওষুধ পরীক্ষাগার।ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ওষুধের মান জানার জন্য সরকারি পরীক্ষাগার আছে দুটি। একটি ঢাকায়, একটি চট্টগ্রামে। বন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামালের মান পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল কাজ করেন জীবাণুবিদ, ওষুধবিদ ও রসায়নবিদেরা। এঁদের পদ আছে ২২টি। এর মধ্যে ২১টি পদই শূন্য। মাত্র একজন সহকারী জীবাণুবিদ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব কাজ করছেন। জনবল সংকটের কারণে ওষুধের নমুনার মান পরীক্ষায় জট লেগে আছে বহু দিন ধরে। ঢাকা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে এবং ওষুধ প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানো নমুনার সবগুলোর মান পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিচালক জানান, ২০১৩ সালে পরীক্ষাগারে ৮৯৩টি ওষুধের নমুনা জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৪৬৬টি নমুনার মান জানা সম্ভব হয়েছিল।কর্মকর্তারা পরীক্ষাগার ঘুরিয়ে দেখিয়ে বলেন, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় রাসায়নিকের কমতি নেই। জনবলের অভাবে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, বেসরকারি মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে আছে। প্রভাবশালী চিকিৎসকেরা ওই হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁদের সরাতে পারছেন না সরকারি কর্মকর্তারা। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) নূরুল হক দাবি করেন, ‘সরকার আমাদের এই জায়গা দীর্ঘ মেয়াদে বন্দোবস্ত দিয়েছে।’ | 69,181 |
-1 | opinion | মতামত | ০১ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০১ | ০১ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০১ | চিঠিপত্র,মতামত | 0 | ইউসিসিএ কর্মচারীদের দাবি | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/727258 | নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা হলো, এখন বাস্তবায়নের পালা। কিন্তু বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোের্ডর (বিআরডিবি) অধীন উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের (ইউসিসিএ লিমিটেড) ভাগ্যাহত কর্মচারীদের জীবনে যেন আশার আলো নেই। চাকরিকালীন জীবনে যঁাদের ভাগ্যে কখনো টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড তো দূরের কথা, বিগত বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত স্কেলের বেতন ভাতাও রীতিমাফিক বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তো দূর অস্ত। এখানকার কর্মচারীদের মাস শেষে বেতন নিয়ে গোল বাঁধে। কর্মচারীদের দাবি বেতন চাই। বিআরডিবি কর্তৃপক্ষের জবাব, বেতন নাই। চাই আর নাই-এর বেড়াজালে পড়ে অনেকেই চাকরির জীবন পার করে শূন্য হাতে অবসরে গেছেন। যারা পড়ে আছেন, তারা চাকরির মায়ায় সীমাহীন নিরাশায় হাবুডুবু খাচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথের পুরাতন ভৃত্য কবিতার ভৃত্যের মতো, তাদের তবু ‘মায়া তার ত্যাগ করা ভার—বড়ো পুরাতন ভৃত্য’। সারা দেশে বিআরডিবির ৪৭৬টি ইউনিটের অধীন ৪৬০ টি ইউসিসিএ রয়েছে। প্রায় হাজার পাঁচেক কর্মচারী সেখানে কাজ করে। বিআরডিবি কর্তৃপক্ষের নিকট সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউসিসিএ কর্মচারীদের একটাই আবেদন, তাদের বিআরডিবির রাজস্ব খাতভুক্ত করা হোক। যুগ যুগ ধরে অবহেলিত এই বিপুলসংখ্যক কর্মচারীর এই দাবি কি খুব অযৌক্তিক? নজীর আহমেদ করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ। | 188,503 |
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৩০ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৩১ | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | কাজে যোগ দিলেন সেই সেকশন অফিসাররা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/122340 | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার ও স্টোর অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সেই ১১ জন গতকাল রোববার কাজে যোগ দিয়েছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা গতকাল সকালে কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের এখনো নির্দিষ্ট কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।এসব কর্মকর্তাকে নিয়োগ নিয়ে গত শুক্রবার ‘ভিসি যুবলীগের, সেকশন অফিসাররা ছাত্রলীগের’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছিল। এতে উল্লেখ ছিল, গত বছরের ১৩ অক্টোবর চারজন সেকশন অফিসার ও একজন স্টোর অফিসারসহ (গ্রেড-২) পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পদে ১১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে নয়জনই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। | 43,260 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২১:১৬ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২১:২২ | বলিউড | null | সন্তান নেবেন প্রিয়াঙ্কা, তবে... | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1589181 | ভক্তরা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছিলেন, প্রিয়াঙ্কা কবে বিয়ে করবেন। এবার শুরু হয়েছে তাঁদের নতুন অপেক্ষা, প্রিয়াঙ্কা কবে মা হবেন। সম্প্রতি জানা গেল প্রিয়াঙ্কার সন্তান নেওয়ার বেশি দেরি নেই। সন্তান তিনি নেবেন, তবে তার আগে রয়েছে জরুরি কিছু প্রস্তুতি।প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যে বিয়ে করেছেন, বেশি দিন হয়নি। মাত্র ৩ মাস। এরই মধ্যে সন্তান নেওয়ার জন্য তাঁকে এত তাড়া দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে ভক্তদের? আরও কিছু কাজ তো করা দরকার। ধরা যাক সন্তানের পেছনে কত খরচ। নানা রকম কাজ করে টাকা-পয়সা গুছিয়ে রাখতে হবে। প্রিয়াঙ্কার বর শিল্পী নিকের সে রকমই ইচ্ছে। ‘সন্তান নেবেন কবে?’ নানা জায়গায় এ প্রশ্ন শুনতে শুনতে বেচারা রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে গেছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, সন্তান নিয়ে নেব। তবে তার আগে কিছু কাজ আছে। সন্তান নেওয়া মানে তো কেবলই একজন নতুন মানুষকে পৃথিবীতে আমন্ত্রণ জানানো নয়। তার জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। একটি শিল্পী পরিবারে নতুন মানুষ আসার জন্য একটি শিল্পসম্মত পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। তারপর তাকে স্বাগত জানানো। ‘মেট গালা’ নামের গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের পর সন্তান নেওয়ার কথা ভাববেন প্রিয়াঙ্কা-নিক।প্রিয়াঙ্কা-নিকের সামনে রয়েছে একটি বড় অনুষ্ঠান ‘মেট গালা’। প্রতিবছর মে মাসের প্রথম সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে মার্কিন সাময়িকী ভোগ। নানা রকম পোশাকের প্রদর্শনীর মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে মূলত তহবিল সংগ্রহ করা হয় মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টসের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের জন্য। মজার কথা হচ্ছে, এই অনুষ্ঠানেই নিকের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার প্রথম পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব, পরিণয় তারপর বিয়ে। আর এখন, দুজনেই এই মেট গালার কমিটিতে রয়েছেন। নিক জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের এই অনুষ্ঠানটি তাঁর ভীষণ আবেগের জায়গা। ২০১৭ সালে রাল্ফ লরেনের পোশাক পরে দুজন উপস্থিত হয়েছিলেন এই উৎসবে। ফলে খুব গুরুত্বসহকারে এ বছরও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাঁরা।আপাতত বেশ চমৎকার সময় কাটছে প্রিয়াঙ্কা-নিকের। পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে আড্ডা আর ঘুরে বেড়ানোর ছবি প্রায়ই তাঁরা পোস্ট করছেন সামাজিক মিডিয়ায়। এরই মধ্যে জোনাস ব্রাদারের ‘সাকার’ গানের ভিডিওতে দেখা গেছে প্রিয়াঙ্কাকে। বরের কনসার্টের প্রচারণা চালাতে আবার নানা জায়গায় ঘুরেও বেড়াচ্ছেন তিনি। বলিউড হাঙ্গামা | 398,154 |
আশরাফ উল্লাহ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৩, ০২:১২ | ২৮ নভেম্বর ২০১৩, ০২:১৫ | আমার চট্টগ্রাম | null | সেই শরীফ এবার ‘ইত্যাদি’তে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/84628 | দুই কামরার ছোট্ট ঘরটাতে খুশির রোশনাই। পরিবারের সদস্যরা বেশ উৎফুল্ল। কিছুক্ষণ পর পর লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন। নিম্নবিত্ত এই পরিবারটির জন্য একেবারেই নতুন এক অভিজ্ঞতা। আশপাশের বাসার ছেলেমেয়েদেরও যেন আনন্দের শেষ নেই। ক্যামেরা যেখানে, তারাও সেখানে। ক্যামেরার পাশ ছাড়ছে না কেউ। পাড়ার লোকজনও এ নিয়ে বেশ কৌতূহলী। সবার মুখে মুখে ফিরছে ঘটনাটা। দোকানের সামনের জটলায়ও আলোচনার বিষয় এটি।এত কিছুর উপলক্ষ ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরীফ। চলছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র শুটিং। একহাতি ও পা-হীন এই ক্রিকেটারকে এবার দেখা যাবে এই ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে। ২০ নভেম্বর চট্টগ্রামের মাদারবাড়ির কামালগেট এলাকায় ধারণ করা হয় শরীফের নিত্যদিনের চিত্র। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে ইত্যাদির এবারের পর্ব প্রচারিত হবে আগামীকাল শুক্রবার রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর। অনুষ্ঠানটি পুনঃপ্রচারিত হবে ১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায়।মনে আছে পাঠক, ১৬ বছরের অদম্য কিশোর শরীফের কথা? ১১ বছর বয়সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক হাত ও দুই পা হারানো এ কিশোর সব বাধা তুচ্ছ করে গেয়েছে জীবনের জয়গান। তার মনের জোরের কাছে পরাস্ত হয়েছে শারীরিক বাধা। সে এখন পাড়ার নামী ক্রিকেটার। শুধু তা-ই নয়, তার রয়েছে আটজনের একটি ক্রিকেট দল। যে দলের অধিনায়ক সে নিজে। শর্টপিচ ক্রিকেটে তার দল ইতিমধ্যে জিতেছে চারটি টুর্নামেন্ট।অথচ শরীফকে নিয়ে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। সেই ছেলেই তাঁদের চিনিয়েছে মুদ্রার ওপিঠ, যেখানে শুধুই সাফল্যগাথার কাহিনি। শরীফের মা বেবী খাতুন দুই হাত তুলে দোয়া করছেন ছেলের জন্য। বাবা সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলমও ছেলের সাফল্যে খুশিতে আটখানা।আর শরীফ? সেই মুচকি হাসি লেগেই আছে মুখে। তোমাকে নিয়ে এত মাতমাতি কেমন লাগছে? বলল, ‘সবাই এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাচ্ছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’‘ইত্যাদি’র সহকারী পরিচালক মোহম্মদ মামুন বলেন, ‘ব্যতিক্রমী যেকোনো কিছু দেখলেই ‘ইত্যাদি’র দল সেখানে ছুটে যায়। তাই শরীফের খবর পেয়ে আমরা এসেছি।’উল্লেখ্য, শরীফকে নিয়ে প্রথম আলোর শনিবারের ক্রোড়পত্র ছুটির দিনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গত ২৬ অক্টোবর। মূল রচনায় উঠে আসে এই কিশোরের আদ্যোপান্ত। এরপর ইত্যাদির অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে তার। | 31,359 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৪ মে ২০১৭, ০০:৩১ | ১৪ মে ২০১৭, ০০:৩৫ | বাজেট | 0 | ভ্যাটের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1178701 | নতুন আইনের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট হার কমানো নিয়ে আজ রোববার সিদ্ধান্ত হতে পারে। ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে কত হবে—তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সভা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শেষ পর্যন্ত ভ্যাট হার ১২ কিংবা ১৩ শতাংশই চূড়ান্ত করা হতে পারে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনলে কী পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হবে, এর একটি পর্যালোচনা তৈরি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১ শতাংশ মূসক কমানো হলে ৪ হাজার কোটি টাকার মতো ভ্যাট কমে যাবে। সে ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা হলে ১০-১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব কমে যেতে পারে।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এনবিআরের বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হবে। বৈঠকে ঠিক করা ভ্যাট হার ধরেই বাজেটের নতুন করে রাজস্ব আদায়ের যাবতীয় হিসাবনিকাশ করা হবে। ভ্যাট কমানোর ফলে যে রাজস্ব ক্ষতি হবে তা কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। এনবিআরের প্রস্তাব থাকবে, ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে হিসাব রাখতে পারেন, এ জন্য বিশেষ সফটওয়্যারসংবলিত ৫০ হাজার ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) বা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিন কেনা দামে দেওয়া হবে।আজ সন্ধ্যায় গণভবনে অর্থমন্ত্রী ও এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় করপোরেট কর হার কমানো, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি করা—এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, তেল ও গ্যাস, সিগারেট, সিমেন্ট, মোবাইল ফোন সেবা—এই চারটি খাত থেকেই মোট মূসকের প্রায় ২০ শতাংশ আসে। এই চারটি খাতেই ১৫ শতাংশ হারে মূসক আছে। গত অর্থবছর এই চারটি খাত থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূসক আদায় হয়েছে। মূসক হার কমিয়ে দেওয়া হলে এই খাতগুলো থেকে মূসক আদায় কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সভায় এই বিষয়টিও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। প্রয়োজনে এসব খাতের জন্য আরেকটি বিশেষ মূসক স্তর রাখা যায় কি না, তাও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। বেশির ভাগ কমিশনারেটের শীর্ষ মূসক আহরণকারী খাতগুলো হলো তেল ও গ্যাস, সিগারেট, সিমেন্ট ও মোবাইল ফোন সেবা।গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজস্ব কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত। তিনি বলেন, ‘১ শতাংশ কমালেও ৪ হাজার কোটি টাকা কমবে। আগে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিত, এমন বড় চার-পাঁচটি কোম্পানির কাছ থেকেই রাজস্ব আদায় কমবে।’ তবে অভিন্ন মূসক হার নাকি একাধিক হারে হবে—এই প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে গেছেন অর্থমন্ত্রী।প্রতিবার বাজেট প্রস্তুত করার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী ও এনবিআরের কর্মকর্তারা। এসব বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সভা হয়েছে। বৈঠকে বাজেটের আকার, রাজস্ব আদায়, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি—এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে ৪ লাখ ২৫০ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হবে। এনবিআরকে ২ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে। আবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ধরা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।এডিপিগত বৃহস্পতিবারের সভায় আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। অবশ্য আজ জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (এনইসি) সভায় আগামী অর্থবছরের এডিপি পাস হবে। চলতি এডিপি থেকে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে পরিকল্পনা কমিশন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে দেশজ উৎস থেকে জোগান দেওয়া হবে ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা এবং বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে। তবে কয়েক বছর ধরে প্রতিবারই এনইসি সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এডিপির আকার বৃদ্ধি করা হয়। এবারও এমন হতে পারে বলে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাবের খসড়া তৈরি করেছে। এ বছর প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশের মতো হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাবটি উপস্থাপন করেছেন বিবিএসের কর্মকর্তারা। পরিকল্পনামন্ত্রী প্রবৃদ্ধির হিসাব আরও সুচারু করার নির্দেশ দিয়েছেন। | 317,366 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ আগস্ট ২০১৩, ০০:৫৭ | ০৬ আগস্ট ২০১৩, ০০:৫৮ | মহানগর | null | এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/35274 | সদ্য প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন ও পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রদর্শনের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছেন ‘অপ্রত্যাশিত ফলাফল বিপর্যয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীবৃন্দ’।গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন করেন। এতে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ থেকে পরীক্ষা দেওয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থী অংশ নেন।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের একজন কবি নজরুল কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর প্রত্যাশা ছিল জিপিএ-৫ পাবেন, কিন্তু পেয়েছেন জিপিএ-৪.১। এ রকম অনেকের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল হয়নি। তাই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে তাঁদের দাবি, আরেকবার খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হলে হয়তো তাঁদের ফল আরও ভালো হবে। এ জন্যই তাঁরা মানববন্ধন করেছেন।শিক্ষা বোর্ডের সূত্রমতে, বর্তমান নিয়মে শুধু আবেদনকারীদের ফল পুনর্নিরীক্ষা হয়, পুনর্মূল্যায়ন হয় না।গত শনিবার প্রকাশিত এইচএসসির ফল গতবারের চেয়ে সব সূচকেই খারাপ হয়েছে। জিপিএ-৫ ও পাসের হার কমেছে। | 7,931 |
প্রথম আলো ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৭ জুলাই ২০১৩, ০১:১৪ | ১৭ জুলাই ২০১৩, ০১:১৫ | লাতিন আমেরিকা | 0 | বলিভিয়ার কাছে স্পেনের দুঃখ প্রকাশ | http://www.prothom-alo.com/international/article/25174 | স্পেন তার আকাশসীমায় বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিমানকে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। মার্কিন নজরদারির তথ্য ফাঁসকারী এডওয়ার্ড স্নোডেন আরোহী ছিলেন, এ সন্দেহে সম্প্রতি বিমানটিকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।স্পেনের রাষ্ট্রদূত লা পাজ মিগুয়েল এনজেল বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য স্পেন গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করে বলছি, বিষয়টির যেন এখানেই শেষ করা হয়।’এ মাসের শুরুতে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস মস্কো থেকে সরকারি বিমানে দেশে ফেরার সময় স্পেনসহ ইউরোপের চারটি দেশ বিমানটিকে অস্ট্রিয়ার দিকে ঘুরিয়ে দেয়। এএফপি। | 3,108 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:০৩ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:০৩ | ফেনী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ফেনীতে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1092652 | বিভিন্ন সময় কর্তব্য পালন করতে গিয়ে পুলিশের যেসব সদস্য জীবন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে ফেনীতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছে পুলিশ বিভাগ।গতকাল সোমবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রেজাউল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামছুল আলম সরকার।স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের সময় ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের জন্য কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সারা দেশে পুলিশের বহু সদস্য জীবন দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। তাঁদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভ। তিনি বলেন, ফেনী পুলিশ প্রশাসন একটি দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছে। অন্যান্য জেলাও এ ধরনের উদ্যোগ নেবে বলে তিনি আশা করছেন। | 297,954 |
পিরোজপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:১৩ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:১৪ | পিরোজপুর,খবর,বরিশাল বিভাগ,সরকার | 0 | পিরোজপুরে তথ্যমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1084265 | তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়েছেন। তিনি জঙ্গিদের সঙ্গী। বাংলাদেশকে উন্নত করতে হলে এই জঙ্গির সঙ্গী খালেদা জিয়াকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’গতকাল শনিবার ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।হাসানুল হক ইনু বলেন, গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ ও পবিত্র থাকতে হবে। মিথ্যাচার ও গুজব থেকে দূরে থেকে জঙ্গিবাদের উৎপাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছেন। এই হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। তাঁদের বিচার করতে হবে। | 295,026 |
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:০৮ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:০৯ | জুড়ী,মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বাগানে পড়ে আছে ৩১৫ টন চা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/98296 | অবরোধ ও হরতালের কারণে মৌলভীবাজারের জুড়ী ভ্যালির বিভিন্ন চা-বাগানে উৎপাদিত চা বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের নিলাম বাজারে পাঠানো যাচ্ছে না। এসব বাগানে পড়ে আছে ৩১৫ টন চা। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চা-বাগানের মালিকেরা।চা-বাগান মালিকপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জুড়ী ভ্যালিতে (জুড়ীসহ আশপাশের কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগানের সমন্বয়ে ওই ভ্যালি গঠিত) ২২টি চা-বাগান রয়েছে।বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত চা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। নিলাম বাজারে বিক্রির জন্য চা চট্টগ্রামের ব্রোকার হাউসে পাঠানো হয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে অবরোধ ও হরতাল থাকায় সেখানে চা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।সর্বশেষ গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে চায়ের ২৯তম নিলাম বাজার অনুষ্ঠিত হয়। তবে অবরোধ ও হরতাল চলায় চট্টগ্রামের বাইরের ক্রেতারা ওই নিলামে অংশ নিতে পারেননি। নিলামে কেনার পর পাইকারি বাজারে চা বিক্রি হয়।জুড়ীর কাপনাপাহাড় চা-বাগানের ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, অবরোধ ও হরতালের কারণে প্রায় এক মাস ধরে তাঁরা নিলাম বাজারে চা পাঠাতে পারছেন না। বর্তমানে তাঁদের বাগানে এক লাখ ৪০ হাজার কেজি চা মজুত আছে। এসব চা এত দিনে বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা। এ ছাড়া দীর্ঘদিন মজুত থাকার ফলে চায়ের গুণগত মান টেকানো কঠিন বলে তিনি মন্তব্য করেন। ধামাই টি কোম্পানির ধামাই চা-বাগানের ব্যবস্থাপক গোপাল শিকদার জানান, ধামাইসহ সোনারুপা ও আতিয়াবাগ নামে তাঁদের কোম্পানির তিনটি বাগান রয়েছে। বিক্রির অভাবে এসব বাগানে পৌনে তিন লাখ কেজি চা পড়ে আছে।জুড়ী ভ্যালি চা সংসদের (চা-বাগানের মালিকপক্ষের সংগঠন) সাবেক সভাপতি ও বড়লেখার সমনভাগ চা-বাগানের ব্যবস্থাপক শাহজাহান আখন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন চায়ের ভরা মৌসুম। শীতে চায়ের চাহিদা থাকে বেশি। নিলাম বাজার থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত চায়ের বেচাকেনা এ সময়টায় বেশি থাকে। অবরোধ ও হরতালে একদিকে নিলাম বাজারে চা পাঠানো যাচ্ছে না, অন্যদিকে ক্রেতার অভাবে নিলাম বাজারও জমে উঠছে না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে এ সমস্যা আরও বাড়বে।’ | 35,654 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:২০ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:২১ | নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বিদায়-বরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/769966 | নাটোরের সিংড়া পৌর পরিষদের বিদায় ও নবনির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলর-বরণ গতকাল রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিদায়ী মেয়র শামিম আল রাজির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ নাটোরের উপপরিচালক সরোয়ার বারী। সভায় বিদায়ী মেয়রের কাছ থেকে সংবর্ধিত নবনির্বাচিত মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস পৌর পরিষদের দায়িত্বভার নেন। বিদায়ী মেয়র তাঁর বক্তব্যে বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন পরিষদ সবার সহযোগিতায় সিংড়া পৌরসভাকে একটি মডেল শহরে পরিণত করবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ইউএনও হেমন্ত হেনরী কুবি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহেদুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মণ্ডল। | 202,034 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ জুলাই ২০১৩, ১৩:৩১ | ৩১ জুলাই ২০১৩, ১৬:৪০ | রাজনীতি | null | হাওয়া উল্টো দিকে বইছে: নাসিম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/32722 | আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আমরা গ্রামগঞ্জে ঘুরেছি। মাঠপর্যায়ের তথ্য বলছে, হাওয়া উল্টো দিকে বইছে। এই সরকারের সফলতা দেখে কৃতজ্ঞ জনগণ আবার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে চায়।’আজ বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত আলোচনা সভায় নাসিম এসব কথা বলেন।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘জয়ের মতো মেধাবী তরুণ রাজনীতিতে আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানানো উচিত। উচ্চশিক্ষা, মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে দেশকে সহায়তা করতে চান। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ নেই।’‘আমার কাছে তথ্য আছে, আগামী দিনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে’—প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন মন্তব্যের বিষয়ে নাসিম বলেন, ‘এ কথাটি নির্বাচনকালে সব দলই বলে থাকে। কারণ, নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থা নানা জরিপ করে। তিনি (জয়) এ ধরনের একটি ফলাফলের কথা বলেছেন। অথচ এ কথা বলার পর রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে।’নাসিম বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও কারচুপি হবে না। তাই কেউ আসুক আর না আসুক, নির্বাচন হবেই। আর এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে।’বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নাজমুল হক, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির প্রমুখ। | 6,363 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৯ মে ২০১৪, ০২:১৭ | ০৯ মে ২০১৪, ০২:১৯ | খেলা,দেশের ফুটবল | 0 | আজ জয় চাইছে শেখ রাসেল | http://www.prothom-alo.com/sports/article/211819 | প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি ক্লাবের সঙ্গে ড্র করেও শ্রীলঙ্কান এয়ারফোর্সের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। সন্ধ্যা ৭টায় কলম্বোর সুগাথাদাসা স্টেডিয়ামে হবে খেলা। এই ম্যাচ জিতলে অন্তত গ্রুপ রানার্সআপ হয়েও এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠা নিশ্চিত হবে শেখ রাসেলের।অধিনায়ক বিপ্লব বলেছেন, ‘অনেক দিন পর খেলোয়াড়দের খুব চনমনে মনে হচ্ছে। সবাই প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছে এবং পরের ম্যাচটিতে শতভাগ উজাড় করে দিতে তারা প্রস্তুত হচ্ছে।’ কোচ দ্রাগান দুকানোভিচ জয় চান ম্যাচে, ‘জেতাটাই আসল। কে প্রতিপক্ষ সেটা ভাবছি না। জিততে হবে আমাদের।’ তথ্যসূত্র: বাফুফে। | 71,837 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৯:২৪ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৯:৪৫ | লাতিন আমেরিকা | null | সফর বাতিল করে ওবামাকে রৌসেফের হুঁশিয়ারি | http://www.prothom-alo.com/international/article/48426 | ব্রাজিলের ভেতরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) গোপন গোয়েন্দা কার্যক্রমের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করে ব্রাজিলীয় প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি তিরস্কার ছুড়ে দিয়েছেন।‘দ্য গার্ডিয়ান’ আজ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গোয়েন্দা এডওয়ার্ড স্নোডেন সম্প্রতি যেসব গোপন নথিপত্র ফাঁস করেছেন, তার সূত্র ধরেই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় ধরনের চিড় ধরেছে। এর আগে স্নোডেনকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ওবামা গত আগস্ট মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছিলেন।প্রেসিডেন্ট ওবামার সব ধরনের প্রচেষ্টার পরেও রৌসেফের দপ্তর থেকে বিলি করা বিবৃতিতে আজ বুধবার বলা হয়েছে, ২৩ অক্টোবরের সফর পূর্বনির্ধারিত থাকলেও এখন রাজনৈতিক কারণে তা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় ঘনিয়ে আসছে অথচ (এনএসএর গুপ্তচারবৃত্তি নিয়ে) তদন্তের কোনো ঠিকঠিকানা নেই... এ পরিস্থিতিতে সফর হতে পারে না।... ব্রাজিলীয় সরকার এ ব্যাপারে আস্থাশীল যে, যথাযথ উপায়ে সমস্যার সমাধান হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবার সফরের সূচি নির্ধারণ করা যেতে পারে।’হোয়াইট হাউসের আরেক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তত্পরতা নিয়ে ব্রাজিলে যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সেটি প্রেসিডেন্ট (ওবামা) অনুভব করতে পারছেন এবং এ জন্য তিনি অনুতপ্ত। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উদ্বেগপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া এ ইস্যুটির বাইরেও তিনি প্রেসিডেন্ট রৌসেফ ও তাঁর সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ধরে রাখতে ও একসঙ্গে কাজ করতে চান।’ আরও বলা হয়, ‘এর আগে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন, তবে সেটি সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। এ কারণে রৌসেফ ২৩ অক্টোবরের নির্ধারিত সফর বাতিলের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটিতে প্রেসিডেন্ট সহমত হয়েছেন।’ফাঁস হওয়া নথিপত্র থেকে জানা যায়, এনএসএ প্রেসিডেন্ট রৌসেফের ফোনকল ও ই-মেইল হ্যাক করেছে এবং তাঁর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টর সব ধরনের যোগাযোগের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছে। এ ছাড়া ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় কোম্পানি পেট্রোবাসকে ধ্বংসের তত্পরতাও চালিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা।এর আগে রৌসেফ ওবামার কাছে ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের বেআইনি গুপ্তচরবৃত্তির ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। সে সময় ওবামা যে ব্যাখ্যা দেন, সেটিতে সন্তুষ্ট হয়নি রৌসেফের সরকার।২০১১ সালে রৌসেফ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটির সম্পর্ক ক্রমশ উষ্ণ হতে থাকে। ব্রাজিলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে যুক্তরাষ্ট্র এতই মরিয়া যে, রৌসেফ ক্ষমতায় যাওয়ার কয়েক দিন পরই তাঁর সম্মানে হোয়াইট হাউসে বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়। সে বছর রৌসেফই একমাত্র বিদেশি অতিথি যাঁকে হোয়াইট হাউস আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তবে ব্রাজিলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এত আগ্রহের কারণ দেশটির তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি ও যুদ্ধবিমান বিক্রি করা। | 17,362 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৫৪ | ২৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৫৬ | ক্রিকেট | null | অস্ট্রেলিয়াকে হারাল বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1353286 | হংকং ওয়ার্ল্ড সিক্সেস টুর্নামেন্টে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মূলধারার বাইরে সিক্স এ সাইড অর্থাৎ ছয়জনের দল নিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে মোট ৮ দল। অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় জন হেস্টিংস। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান।টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫ ওভারে ৮৮ রান করেন সাইফরা। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন আফিফ হোসেন। জবাবে অস্ট্রেলিয়া আটকে যায় ৮২ রানে। শেষ ওভারে ৭ রান দিয়ে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেন আফিফ। হেস্টিংস করেন ৩২ রান। বি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ রানবল৪৬সাইফ ক হেস্টিংস ব রিয়ারডন১৪৭৩০আফিফ অবসর৩৪১১৬১মাহিদুল অপরাজিত২২৯১২অনিক রানআউট১১৩১১অতিরিক্ত (লেবা ১, ও ৬)৭মোট (৫ ওভারে)৮৮উইকেট পতন: ১-১৭ (সাইফ, ১.৩), ২-৮৮ (অনিক, ৪.৬)বোলিং: নায়ার ১-০-১৪-০, রিয়ারডন ১-০-১৬-১, গ্রেগরি ১-০-২৩-০, লাফলিন ১-০-২১-০, হেস্টিংস ১-০-১৩-০অস্ট্রেলিয়া রানবল৪৬হেস্টিংস অবসর৩২১০১৪রিয়ারডন অপরাজিত২৬১১২২গচ রানআউট১১৬১১গ্রেগরি অপরাজিত৬৩০১অতিরিক্ত (লেবা ১, ও ৬)৭মোট (৫ ওভারে)৮৮উইকেট পতন: ১-৭৬ (গচ, ৪.৩)বোলিং: মনিরুল ১-০-২৪-০, অনিক ১-০-১৫-০, সাইফ ১-০-১৮-০, রবিউল ১-০-১৭-০, আফিফ ১-০-৭-০ফল: বাংলাদেশ ৬ রানে জয়ী। | 342,654 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:১৪ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:১৪ | সরকার | null | বুয়েটে যথাসময়ে কোর্স শেষ করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/720150 | রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সব কোর্স যথাসময়ে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।বুয়েটের উপাচার্য খালেদা একরামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন। খবর বাসসের।রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন জানান, বুয়েটের প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে। শিক্ষকেরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সূচি অনুযায়ী সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপাচার্য এ সময় রাষ্ট্রপতিকে আরও অবহিত করেন যে বুয়েট তাঁদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন লাভ করেছে। | 185,889 |
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৩২ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৩৩ | বগুড়া,ধুনট,বিশাল বাংলা | 0 | ধুনটে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তরুণীর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/460249 | বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আলপনা আকতার (১৬) নামে প্রতিবন্ধী এক তরুণী রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গত রোববার রাতে মারা গেছে। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেলকুচি গ্রামের সাকায়াত আলীর মেয়ে।নিহত কিশোরীর পারিবারিক সূত্র জানায়, গত রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় এসে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় আলপনা। বাড়ির লোকজন আগুন নেভানোর আগেই সে মারা যায়। পরিবারের দাবি, আলপনা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল।তবে স্থানীয় লোকজনের দাবি, আলপনা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল না। সে আগে পোশাক কারখানায় কাজ করত। মাস খানেক আগে সে ওই চাকরি ছেড়ে বাড়িতে আসে। | 118,037 |
শেরপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ মার্চ ২০১৭, ০২:০৯ | ২৬ মার্চ ২০১৭, ০২:০৯ | শেরপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সুযোগ পেয়েও থেমে যাবে রমজানের স্বপ্ন? | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1119970 | বাবা ফুটপাতে সবজি বিক্রি করেন। মা পোশাক কারখানার শ্রমিক। এই পরিবারের ছেলে মো. রমজান আলী। তিনি এবার চট্টগ্রাম মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ জন্য দরকার প্রায় ৮৭ হাজার টাকা। এত টাকা জোগাড় করতে না পারায় ধূসর হতে চলেছে রমজানের স্বপ্ন।কাল সোমবার ২৭ মার্চ রমজান আলীর ভর্তির শেষ দিন। তাই ভর্তির টাকা জোগাড়ের জন্য তিনি চরম দুশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রমজান এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।রমজানের পৈতৃক বাড়ি শেরপুর শহরের তাতালপুর এলাকায়। তবে সেখানে তাঁদের জমিজমা নেই। তাই ছোটবেলা থেকে তিনি শ্রীবরদীর কুরুয়া নিমতলী গ্রামে নানাবাড়িতে থাকেন। এক মেয়েকে নিয়ে বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা রওশন আরা গাজীপুরে থাকেন।২০১১ সালে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে রমজানও গাজীপুরে শ্রমিকের কাজ নিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়। খবরটি জানতে পারেন ঝিনাইগাতী উপজেলার কালীবাড়ি এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অসহায় ও দরিদ্র শিক্ষার্থী উন্নয়ন সংস্থার’ (ডপ্স) প্রতিষ্ঠাতা মো. শাহিন মিয়া। ডপ্সের সহযোগিতায় ২০১২ সালে রমজান শ্রীবরদীর ভটপুর এইচ ইউ উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পাশাপাশি এ সময় তিনি দরজিবাড়িতে কাজ করেন। তিনি ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পান। পরে ডপ্সের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ শহরে অ্যাডভান্স রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর বিনা পয়সায় লেখাপড়ার সুযোগ হয়। তিনি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি বৃত্তি পান। ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে তিনি এইচএসসি পাস করেন।রমজান আলী ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় পঞ্চম হন। তিনি নটিক্যাল বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান। একাডেমিতে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে থাকা-খাওয়া, পোশাকসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ তিন বছরে তাঁর প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লাগবে। এ টাকা ছয় কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এখন ভর্তির জন্য প্রথম কিস্তিতে তাঁর ৮৬ হাজার ৩৫৫ টাকা দরকার।রমজানের দরিদ্র বাবা-মায়ের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আগামীকালের মধ্যে এ টাকা একাডেমিতে জমা দিতে না পারলে তাঁর পড়ার সুযোগ বাতিল হয়ে যাবে। হয়তো তাঁকে মা–বাবার মতোই পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ নিতে হবে।গত শুক্রবার কথা হয় রমজান আলীর সঙ্গে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছে পড়াশোনা করে বড় হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করার। সেই সঙ্গে ভালো চাকরি করে সংসারের অভাব দূর আর আমার মতো দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সেবা করব। কিন্তু শুধু অর্থাভাবে স্বপ্নের চূড়ান্ত পর্বে এসে আটকে যাচ্ছি।’ডপ্সের প্রতিষ্ঠাতা মো. শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, রমজান মেধাবী শিক্ষার্থী। তাঁর স্বপ্ন এভাবে ব্যর্থ হোক, তা চাই না। এ জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। | 306,649 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২৯ মে ২০১৯, ২৩:২০ | ৩১ মে ২০১৯, ১৫:১২ | ফুটবল,আর্জেন্টিনা,পর্তুগাল | null | রোনালদোর উত্তরসূরিদের হারিয়ে দিয়েছে মেসির উত্তরসূরিরা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1596700 | পোলান্ডে চলছে অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ। আগামী দিনের ফুটবল তারকারা মাঠ মাতাচ্ছেন। টুর্নামেন্টে ভালোই ফর্মে আছেন আর্জেন্টিনার যুবারা। গতকাল রাতে পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারিয়েছেন তাঁরা।ভেবে দেখুন তো, বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বেই দেখা হয়ে গেল মেসির আর্জেন্টিনা আর রোনালদোর পর্তুগালের। কেমন হবে? ফুটবলপ্রেমীদের এই স্বপ্ন বড়দের বিশ্বকাপে এখনো পূরণ না হলেও ছোটদের বিশ্বকাপে ঠিকই পূরণ হয়েছে। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে একই গ্রুপে পড়েছেন মেসি আর রোনালদোর উত্তরসূরিরা। আর সে লড়াইয়ে গতকাল পর্তুগালকে হারিয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা।টুর্নামেন্টে এটা আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় জয় ছিল। এই নিয়ে গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচে দুই জয় তাদের। প্রথম ম্যাচে ৫-২ গোলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করেছিলেন আর্জেন্টিনার যুবারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল পর্তুগালও। দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুভসূচনা করেছিল তারা। দুই দলের মধ্যকার কালকের ম্যাচটা তাই ছিল গ্রুপের শীর্ষে ওঠার সিঁড়ি। সে সিঁড়ি ঠিকঠাক বেয়ে উঠত পারল আর্জেন্টিনাই।ম্যাচের প্রথম গোল করেন ৯ নম্বর জার্সিধারী সান লরেঞ্জোর স্ট্রাইকার অ্যাডোলফো গাইচ। দুরূহ এক কোণ থেকে একজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে গোল করেন তিনি। দ্বিতীয় গোলটা করেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ডিফেন্ডার ও এই আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক নেহুয়েন পেরেজ। এই দুই ম্যাচে পেরেজ দেখিয়ে দিয়েছেন, কেন ডিয়েগো সিমিওনের মতো কোচ তাঁকে আগেভাগে দলে ভিড়িয়েছেন। একটা গোলও শোধ করতে পারেনি পর্তুগাল। পর্তুগাল যুবাদের মূল ভরসা স্ট্রাইকার ফ্রানসিস্কো ত্রিনকাও প্রথম ম্যাচে গোল পেলেও এই ম্যাচে করতে পারেননি। এই ত্রিনকাওকে দলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোনালদোর বর্তমান ক্লাব জুভেন্টাস।দুই ম্যাচে দুই জয়, সঙ্গে সাত গোল দেওয়া আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা বেশ ফর্মে আছেন। দুই জয় নিয়ে আর্জেন্টিনা পরের রাউন্ডে প্রায় চলেই গিয়েছে, ধরে নেওয়া যায়। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার যুবারা লড়বে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। ওদিকে শেষ ম্যাচে পর্তুগাল খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। | 404,000 |
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ মার্চ ২০১৭, ০০:৪১ | ২২ মার্চ ২০১৭, ০০:৪২ | কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1115626 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে অজ্ঞাতনামা (৬০) এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গত সোমবার রাতে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অচেতন অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে স্টেশনমাস্টার সাখাওয়াত হোসেন তাঁকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আটটার দিকে মারা যান তিনি। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, কেউ ওই ব্যক্তিকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আবদুস ছাত্তার বলেন, সোমবার রাতেই লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। | 305,364 |
অনলাইন ডেস্ক | life-style | জীবনযাপন | ০৫ মার্চ ২০১৬, ২১:৫৬ | ০৫ মার্চ ২০১৬, ২২:০২ | জেনে নিন | 0 | পালং শাক খেয়ে ওজন কমান | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/789658 | ওজন কমাতে চান? তাহলে পালং শাক খান। পুষ্টিতে ভরপুর পালংয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ক্যনসার প্রতিরোধী গুণের কারণে এটি ‘সুপারফুড’ হিসেবে পরিচিত। সবুজ পাতার এ শাক দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে পারে। পালংয়ে ভিটামিন ও মিনারেল আছে, এতে ক্যালরি থাকে কম। তাই ওজন কমাতে খাবারে বেশি করে পালং রাখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের ওজন বেশি তাঁরা নিয়মিত পালং খেলে বাড়তি ওজন কমে যায়। কিন্তু কীভাবে খাবেন? চার উপায়ে পালং শাক খেলে ওজন কমানো যায় বলে জিনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।জুস হিসেবেপালং কিন্তু জুসের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। সকালের দরকারি নাশতায় জুস হিসেবে পালং শাক খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। কলা, জাম, আম ও কমলার জুসের সঙ্গে পালং মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। সালাদ হিসেবেকচি পালংয়ের কিছু পাতা সবুজ সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারে। বাদাম কিংবা ফলের সালাদের সঙ্গেও পালং শাক মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। সেদ্ধ করেআলুর সঙ্গে পালং সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। রান্না করার পর দুই-তিন মিনিট ধরে নাড়িয়ে রসুন ও আদা বাটা যুক্ত করে পালংয়ের স্বাদ বাড়ানো যেতে পারে। তরকারি হিসেবে ডালের সঙ্গে পালং খুব ভালো মেশে। রান্না করা কিংবা ঘন ডালের সঙ্গে পালং কুচি যুক্ত করা যেতে। ডাল-পালং রান্না করা শুধু সহজ নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। | 207,722 |
নেত্রকোনা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:১৪ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:১৫ | নেত্রকোনা,ঢাকা বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | নেত্রকোনায় সড়ক দুর্ঘটনায় জেলে নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/622273 | নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নায়েব আলী (৪৫) নামের এক জেলে নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বৌলাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের বৌলাম এলাকায় সড়কের পাশে নায়েব আলী মাছ ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। | 166,174 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ আগস্ট ২০১৪, ১০:৫৯ | ২৮ আগস্ট ২০১৪, ১২:৫৭ | অপরাধ | null | ফারুকী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/303493 | সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিব ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামে অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়েছে।চট্টগ্রাম নগর ও চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও তাঁর অনুসারীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর:চট্টগ্রাম নগর: সকাল সাড়ে আটটার দিকে ষোলশহর সুন্নিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও ফারুকীর অনুসারীসহ মোট দুই হাজার ব্যক্তি মুরাদপুর মোড় এলাকায় অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী তাঁরা ওই এলাকায় অবস্থান করেন। এ সময় অর্ধশতাধিক টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধক ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে তিন প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টায়ার ও প্রতিবন্ধক সরিয়ে দিলে আবার যান চলাচল শুরু হয়। সাড়ে ১০টার দিকে ফারুকীর সমর্থক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দিকে চলে যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তিন প্লাটুন পুলিশ নিয়ে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।দোহাজারী (চন্দনাইশ): বেলা পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী এলাকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন ইসলামিক ছাত্র সেনা ও ইসলামিক ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা।এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে চন্দনাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নেতা-কর্মীরা ওই স্থান থেকে চলে গেলে বেলা পৌনে ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এ কে এম এমরান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের নিজ বাসায় গতকাল রাতে খুন হন শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকী। দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে হাত-পা বেঁধে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে।ফারুকী ইসলামী ফ্রন্টের (মতিন) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আহলে সুন্নাতের নেতা ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ইসলামিক মিডিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন।টেলিভিশনের উপস্থাপক ফারুকী নিজ বাসায় খুন | 88,490 |
মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান | opinion | মতামত | ১২ জুলাই ২০১৩, ০১:১১ | ১২ জুলাই ২০১৩, ০১:২৬ | মতামত,ধর্ম,মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান,লেখকের কলাম | 0 | রোজা মানুষকে মুত্তাকি বানায় | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/22678 | রমজান মাসে প্রত্যেক রোজাদার ব্যক্তিকে অবশ্যই তাকওয়ার গুণাবলি অর্জন করতে হয়। এ জন্য মাহে রমজান ও তাকওয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আরবি ‘তাকওয়া’ শব্দের আভিধানিক অর্থ আল্লাহভীতি, পরহেজগারি, দ্বীনদারি, ভয় করা, বিরত থাকা, আত্মশুদ্ধি, নিজেকে কোনো বিপদ-আপদ বা অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা প্রভৃতি। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর ভয়ে সব ধরনের অন্যায়, অত্যাচার ও পাপাচার বর্জন করে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশানুযায়ী মানবজীবন পরিচালনা করার নামই তাকওয়া। ইসলামে তাকওয়ার চেয়ে অধিক মর্যাদাবান কোনো কাজ নেই। দ্বীনের প্রাণশক্তিই তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে অধিক মুত্তাকি।’ (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৩)রোজার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হচ্ছে তাকওয়া ও হূদয়ের পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। হূদয়ের এক বিশেষ অবস্থার নাম তাকওয়া, যাতে আল্লাহর হুকুম পালন ও নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। তাকওয়ার মাধ্যমেই বান্দা ইহকাল ও পরকালে মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে পরম সম্মানিত হয়। যত প্রকার ইবাদত-বন্দেগি ও ইসলামের বিধি-বিধান রয়েছে, সবকিছুর মূলে তাকওয়ার অনুপ্রেরণা। তাকওয়া অর্জনের পর মানুষের হূদয় আল্লাহর প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়। এমনিভাবে রমজান মাসে তাকওয়াভিত্তিক চরিত্র গঠনে রোজাদার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।মহান সৃষ্টিকর্তার ভয়ে সমাজে সব ধরনের মন্দ ও অশ্লীল কথা ও কাজকর্ম পরিহার করে ভালো ও উত্তম কথাগুলো প্রকাশ করা, সকল প্রকার খারাপ ও নিন্দনীয় কাজ বর্জন করে কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক যাবতীয় উত্তম কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা এবং অশুভ ও ক্ষতিকর চিন্তা-ভাবনা বিনষ্ট করে শুভ ও কল্যাণকর চিন্তা ধারণ করার নামই তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। যিনি মুত্তাকি বা পরহেজগার হবেন, তিনি যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন এবং ভালো কাজের অনুশীলন করবেন। সত্যবাদিতা, আমানতদারি, ধৈর্য, ন্যায়বিচার বা আদল, ইহসান প্রভৃতি যত রকমের অনুপম মানবিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তিনি সেগুলোর অধিকারী হতে চেষ্টা করবেন। তিনি সর্বদা সৎ কাজ করবেন এবং অপরকে সৎ কাজের প্রতি বিনীতভাবে আহ্বান জানাবেন। আর নিজে অসৎ কাজ থেকে সর্বদা বিরত থাকবেন এবং অন্য সবাইকে অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকতে সচেষ্ট হবেন। তিনি সময়মতো নামাজ আদায় করবেন, জাকাত প্রদান করবেন এবং মাহে রমজানে সিয়াম সাধনা তথা রোজাব্রত পালন করবেন।বছরের এক মাসব্যাপী রোজা পালনের উদ্দেশ্য নিছক উপবাস থাকা নয়, এর মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। ফলে সমাজজীবনে মানুষ অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে এবং ন্যায় কাজ করার জন্য এগোতে পারে। মানুষের মধ্যে তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জনের লক্ষ্যে মাহে রমজানের পূর্ণাঙ্গ একটি মাস রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে। মানুষ যাতে তাকওয়া অর্জন করতে পারে, আল্লাহভীতির গুণাবলি অর্জন করতে পারে, দুনিয়ার সব কাজে আল্লাহকে উপস্থিত পাওয়ার মতো বোধশক্তি অর্জন করতে পারে, এর জন্যই রোজা। মুত্তাকির বৈশিষ্ট্য অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যেন তোমরা মুত্তাকি বা খোদাভীরু হতে পারো।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৩)এখন প্রশ্ন হতে পারে, রোজা কীভাবে মানুষকে মুত্তাকি বানায়? এর উত্তরে বলা যায়, অন্য সব ইবাদত যেমন নামাজ কিংবা দান, খয়রাত, সাদকা ইত্যাদিতে ‘রিয়া’ তথা লোক দেখানোর বিন্দুমাত্র অবকাশ থাকে; কিন্তু রোজার মধ্যে এসবের কোনো স্থান নেই। কেননা রোজাদার ব্যক্তি রোজা আছে কি না, তা সে ছাড়া অন্য কেউ জানে না। সিয়াম পালনকারীর সামনে সুস্ব্বাদু ও লোভনীয় খাবার উপস্থ্থিত থাকা সত্ত্বেও স্রষ্টার প্রতি দায়িত্বশীলতার কারণে সে তা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। ক্ষুধা-পিপাসা ও খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছাকে আধ্যাত্মিক সাধনা বলে নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো রোজাদার যদি লোকচক্ষুর অন্তরালে কোনো খাদ্যদ্রব্য ভক্ষণ করেন বা কিছু পান করেন বা নিষিদ্ধ কোনো খারাপ কাজ করে বসেন, তাহলে তা মানুষের জানার নয়। কিন্তু খাঁটি রোজাদার বা পরহেজগার ব্যক্তি তা করেন না।যদি কেউ আন্তরিকভাবে রোজার প্রতিটি সুন্দরভাবে বিন্যস্ত আমল বা বিধি-বিধান পালন করেন, তাহলে তাঁর মধ্যে অবশ্যই তাকওয়া আসবে। রোজা মুত্তাকির জন্য এক অফুরন্ত নিয়ামতস্বরূপ। তাকওয়া হচ্ছে মনুষ্যত্ব অর্জনের সর্বপ্রথম ও সর্বোত্তম অবলম্ব্বন। রোজা রাখার মধ্য দিয়ে মানুষের মনে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক বিশ্বাস জন্মে এবং আল্লাহর প্রেমে মত্ত হয়ে রোজাদারের অন্তর উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মুত্তাকি ক্ষুধা, পিপাসা, কাম, ক্রোধ, লোভ-লালসা পরিত্যাগ করে রোজা পালনে ব্রতী হন। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাহে রমজানের রোজা পালন করতে গিয়ে রোজার সীমারেখা বুঝে নেবে এবং যে কর্তব্য রোজার ভেতর পালন করা বাঞ্ছনীয়, তা সুচারুভাবে পালন করে চলবে, তার এরূপ রোজা তার বিগত গুনাহের ক্ষমার কাফ্ফারা হয়ে যাবে।’ (বায়হাকি)ইসলামে রোজার যে নিয়মশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা আত্মশুদ্ধি লাভ ও তাকওয়া অর্জনের মূলমন্ত্র। মাহে রমজানসহ মুসলমানদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। একজন রোজা পালনকারী ও তাকওয়া অবলম্বনকারী মুমিন মুসলমান সমাজে কোনো প্রকার অশ্লীল ও অবৈধ কাজ করবেন না, কাউকে প্রতারণা করবেন না, কারও অপকার বা অনিষ্ট সাধনের চিন্তাও করবেন না, বরং সর্বদা পরোপকারে লিপ্ত থাকবেন এবং পবিত্র কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ মোতাবেক জীবন যাপন করে জান্নাত লাভের পথ সুগম করবেন।আসুন, আমরা সবাই যদি তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য সত্য ও ন্যায়ের পথে চলি, মানুষ হিসেবে মানবিক দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলোর প্রতি আত্মসচেতন হই, আল্লাহর নির্দেশ মান্য করি, সমাজে অন্যায়-অসত্য ও অকল্যাণের পথ বর্জন করে চলি, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা মুত্তাকি হতে পারব। ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ ও দাওয়াহ বিভাগ, ধর্মবিজ্ঞান অনুষদ, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়।dr.munimkhan@yahoo.com | 2,154 |
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মার্চ ২০১৫, ০০:৫৫ | ০৭ মার্চ ২০১৫, ০০:৫৭ | মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | এক যুগেও কাজ শেষ হয়নি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/470125 | মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের বুরুতলা এলাকায় কালীছড়া খালের ওপর ২০০২ সালে একটি জলকপাট (স্লুইসগেট) নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এখনো কাজ শেষ হয়নি। নির্মাণকাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত এলাকাবাসী।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, আথানগিরি-শমশেরগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে কালীছড়া খালের ওপর নির্মিত জলকপাটটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এর কোনো কপাট লাগানো হয়নি। পাশ দিয়ে কালীছড়ার ক্ষীণ জলধারা বইছে। সড়কের পাশে ভিত্তিপ্রস্তরের লেখা অনেকটাই অস্পষ্ট হয়ে গেছে। তাতে লেখা রয়েছে: কালীছড়া ওয়াটার রিটেইনিং স্ট্রাকচার। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তারিখ: ৬ মার্চ, ২০০২।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কৃষি বিভাগের উত্তর-পূর্ব ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০০২ সালে জলকপাটটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।কাগাবলা ইউনিয়নের বুরুতলা গ্রামের মো. হুমায়ূন কবীর জানান, কপাট না লাগানোর কারণে এত বছর ধরে এটি অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে।স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, আপার কাগাবলা ও বুরুতলা গ্রামের প্রায় ৩০০ একর জায়গা শুকনো মৌসুমে চাষের আওতায় নিয়ে আসতে এই জলকপাটটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে কৃষকেরা সেচযন্ত্রের মাধ্যমে গোপলা নদী থেকে ধানখেতে সেচ দিচ্ছেন। এ জন্য সেচযন্ত্রের মালিককে টাকা দিতে হচ্ছে।আপার কাগাবলা গ্রামের তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্লুইসগেট চালু করলে আমরার উপকার হতো। এখন আমাদের এক কিয়ার (বিঘা) খেতে সেচের জন্য মেশিনের (সেচযন্ত্র) মালিককে দেড় হাজার টাকা দিতে হয়। স্লুইসগেট হলে এ টাকাটা দেওয়া লাগত না।’কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ‘এই জলকপাট যারা করেছিল, সেই উত্তর-পূর্ব ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প এখন নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি জেলা সমন্বয় পরিষদের সভায় আলোচনা করেছি। এখন দেখি উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে কোনোভাবে কাজ করা যায় কি না।’স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো এ বিষয়ে কিছু জানি না। এলাকাবাসী যদি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কী করতে হবে সেই প্রস্তাব দিয়ে আমাদের কাছে একটা আবেদন করেন, তাহলে আমরা কাজ করে দিতে পারি।’ | 121,127 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৪৬ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৪৬ | বিশাল বাংলা | 0 | বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1037841 | রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় ও বরণ উপলক্ষে অফিসার্স ক্লাবের হলরুমে গতকাল শনিবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বক্তব্য দেন বিদায়ী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিপিকা দত্ত, বর্তমান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম, তারাগঞ্জের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিশিন চন্দ্র, অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, কাজীপাড়া মহিলা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আনিছুল হক, চান্দেরপুকুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেক হোসেন, বড়গোলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলিয়ার রহমান, ভীমপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি | 273,388 |
প্রতিনিধি, বিরামপুর, দিনাজপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মে ২০১৯, ১৭:৫০ | ০৮ মে ২০১৯, ১১:০৪ | সরকার,রংপুর বিভাগ,বিরামপুর,দিনাজপুর,মাদক | null | দিনাজপুরে এক মাস মদ না বেচতে ডিসির আদেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1592679 | রমজান মাসে দিনাজপুরে মদ ও মাদক জাতীয় দ্রব্য বিক্রি না করতে এবং মদের দোকান ও পানশালা বন্ধের আদেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাহমুদুল আলম। এই আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল জেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় জেলার মদের দোকানগুলো বন্ধের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সভায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার থেকে ৩০ দিনের জন্য মদের দোকান ও পানশালা বন্ধের আদেশ বহাল হয়। গতকাল সোমবার দিনাজপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে আদেশ বাস্তবায়ন করে নিয়মিত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দিনাজপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিরামপুর, হাকিমপুর, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, বীরগঞ্জ ও সদর উপজেলায় মোট লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছয়টি মদের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া সদর উপজেলায় একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ‘বিলেতি’ মদের দোকান রয়েছে। জেলায় মদপানের লাইসেন্স রয়েছে ২ হাজার ২৫০ জনের।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দিনাজপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রাজিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকের আদেশ বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকের এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ আদেশ বাস্তবায়নে শুধু রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় নয়, মাদকের অপব্যবহার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুস সালাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকের আদেশ পাওয়ার পরপরই ফুলবাড়ীর লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানের মালিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। | 400,940 |
নয়াদিল্লি প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৪:৩০ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৪:৩০ | ভারত | null | রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশকারী, শরণার্থী নয় | http://www.prothom-alo.com/international/article/1329271 | ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আবারও জানিয়ে দিলেন, ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়। তারা প্রত্যেকেই অনুপ্রবেশকারী। অতএব তাদের মিয়ানমারে চলে যেতেই হবে।রোহিঙ্গা প্রশ্নে যাঁরা সহানুভূতিশীল, তাঁদের উদ্দেশে রাজনাথ স্পষ্ট করে বলেন, ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে রোহিঙ্গাদের থাকতে দেওয়া হবে না। তাঁর প্রশ্ন, মিয়ানমার সরকার যখন রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আগ্রহী, তখন কেন সামান্য কিছু মানুষ তার বিরোধিতা করছেন, তা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না।গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন (এনএইচআরসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রাজনাথ সিং রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তি লঙ্ঘন বা বিধির খেলাপ করছে না। কারণ, শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘে সম্পাদিত কোনো চুক্তিতে ভারত সই করেনি।ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা কেন শরণার্থী নয়, কেনই–বা তারা অবৈধভাবে চলে আসা মানুষ বা অনুপ্রবেশকারী, তার ব্যাখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শরণার্থী হওয়ার কিছু নিয়মকানুন আছে। সেই বিধি বা নিয়ম তারা পালন করেনি। এ দেশে থাকতে চেয়ে তারা কোনো আবেদনও জানায়নি। সেই কারণেই তারা অনুপ্রবেশকারী। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে রোহিঙ্গা মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। সেই মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারও শামিল হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ সন্ত্রাসবাদী থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে সব রোহিঙ্গাই সন্ত্রাসী নয়। | 339,143 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ১৭:০৯ | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ১৭:১৯ | ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম আলো,ক্রিকেট | null | ডিআরএস প্রযুক্তি নিয়েই প্রশ্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1547701 | আগামীকাল সকাল ছয়টায় সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠল শিরোপা নির্ধারণী। অলিখিত ফাইনাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আত্মবিশ্বাসী, সিরিজটা তারাই জিতবে।শচীন টেন্ডুলকার শুনলে হয়তো খুশি হবেন। ডিআরএস প্রযুক্তি যখন প্রথম দিকে ক্রিকেটে চালু করা হলো, টেন্ডুলকার এর বিপক্ষে ছিলেন। তাঁর মূল আপত্তি ছিল বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়ে। টেন্ডুলকার মনে করতেন, বল কোথায় পড়ে কোথায় যাচ্ছে, এটি শতভাগ নির্ভুলভাবে বলতে পারে না বল ট্র্যাকিং। কারণ, বলের গতিপথ শুধু জ্যামিতির রেখা দিয়ে মাপলে ভুল। ধারণা করা হয়, ভারত যে দীর্ঘদিন ডিআরএস চালু করতে রাজি হয়নি, এর পেছনে টেন্ডুলকারের প্রভাব আছে।দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১২ রানে হেরে যাওয়ার পর আজ কার্লোস বাফ্রেট যা বললেন, সেটি অনেকটা টেন্ডুলকারেরই বক্তব্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মনে করেন, দিনেশ রামদিনের আউটটা ম্যাচের ফলে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আর এই আউট নিয়ে প্রশ্ন আছে ব্রাফেটের। অর্থাৎ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়েই।রুবেল হোসেনের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশের এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ তখন রিভিউ চায়। সাধারণত আম্পায়ার এলবিডব্লু না দিলে রিভিউ নিতে ঝুঁকি থাকে। অনেক সময় বল ট্র্যাকিংয়ের ফলাফলে বল স্টাম্পে লাগলেও আম্পায়ারস কল বা মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারণে রিভিউ নাকচ হয়ে যায়। বাংলাদেশ তবু ঝুঁকিটা নিয়েছিল। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলটি শেষ পর্যন্ত ঠিকই স্টাম্পে গিয়ে লাগত। বল ৫০ শতাংশের বেশির ভাগটাই স্টাম্পে লাগত বলে আম্পায়ারকে তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে। ৫৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।ব্রাফেট ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘জানি না এ কথা বললে আবার পরে আমার কোনো সমস্যা হবে কি না (আচরণবিধি ভঙ্গ), তবু বলব, রামদিনের ডিআরএসের ফলাফলটি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। রামদিন আমাদের ইনিংসের মূল ভারসাম্য ছিল। অবশ্য এমন এমন ঘটনা ঘটতেই পারে।’তামিম ইকবালের ৪৪ বলে ৭৪ আর সাকিব আল হাসানের ৩৮ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো দুটি ইনিংসে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৭১ রান তোলে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে ১৫৯ রানে আটকে যায়। ব্রাফেট মনে করেন, তাঁর দল ফিল্ডিংয়ে আরও বেশি তৎপর হলে এত বেশি রান তুলতে পারত না বাংলাদেশ, ‘টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিকই ছিল। শুরুতে কয়েক উইকেট তুলে নিয়ে ওদের চাপে ফেলেও দিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে আজ আমাদের গা-ছাড়া ভাব ছিল। সেখানেই আমরা ম্যাচটা হেরেছি। খেলার মাঝবিরতিতে আমাদের মাথায় হয়তো এই ভাবনা ছিল, রানটা কম হলে আমরা তাড়া করতে পারতাম। গা-ছাড়া ফিল্ডিং এখানেই আমাদের ভুগিয়েছে। এখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’আগামীকাল সকাল ছয়টার ম্যাচটা তাই হয়ে উঠল অলিখিত ফাইনাল। ওয়ানডে সিরিজটিও তা-ই ছিল। যেখানে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতেছে ২-১-এ। ব্রাফেট আশাবাদী, তাঁর দল শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে, ‘আমার যে ফিরে আসব, এ ব্যাপারে আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। কখনো কখনো আপনার খারাপ দিন যাবেই। প্রথম ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলেছি, তা খেলতে পারল সিরিজ আমাদেরই।’ | 372,700 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জুলাই ২০১৬, ১৮:৩১ | ২১ জুলাই ২০১৬, ১৮:৫৯ | আইন ও বিচার | 0 | এসপির স্ত্রী খুন: ফের শাহজাহানের রিমান্ড মঞ্জুর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/921253 | পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া মো. শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ফের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গত রোববার রাত থেকে তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, মাহমুদা হত্যা মামলার আসামি মো. শাহজাহানকে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, শাহজাহান মাহমুদা হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে এটি রয়েছে। তিনি মামলার একজন গুরুত্বপূর্ণ আসামি। হত্যাকাণ্ডে আর কারা অংশ নিয়েছে, কার নির্দেশে তাঁরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন—এসব বিষয় শাহজাহানের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাঁকে আরও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আলোচিত এই মামলার বেশ কিছু তথ্যের প্রয়োজন। এ জন্য দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শাহজাহানের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর আসামি এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা (অস্ত্র সরবরাহকারী) ও মুছার (হত্যার পরিকল্পনাকারী) ভাই সাইদুল শিকদার ওরফে সাকুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কারাগার থেকে আনা হবে। ১৭ জুলাই তাঁদের তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার ২৬ জুন চট্টগ্রাম আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তাঁরা উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো. রাশেদ, নবী, মো. শাহজাহান, কামরুল সিকদার ওরফে মুছা ও মো. কালু অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। ভোলা অস্ত্র সরবরাহ করেন।আসামিদের মধ্যে নবী ও রাশেদ ৫ জুলাই ভোরে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। আর মুছাকে ২২ জুন বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন তাঁর স্ত্রী পান্না আক্তার। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করে বলছে, মুছাকে খোঁজা হচ্ছে। পলাতক রয়েছেন আসামি কালু। | 241,918 |