author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
শশী থারুর
opinion
মতামত
২০ জুলাই ২০১৭, ০০:১২
২০ জুলাই ২০১৭, ০২:৪৭
আন্তর্জাতিক,লেখকের কলাম,প্রতীক বর্ধন
null
পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি দরকার ছিল
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1258141
ভারতের জনাকীর্ণ বাজারে একরকম আতঙ্কজনক নীরবতা নেমে আসে ১ জুলাই। মধ্যরাতে ভারতীয় সংসদের এক ঝলমলে অনুষ্ঠানে নতুন জাতীয় পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কার্যকর হয়েছে। এর প্রশংসা করে বলা হচ্ছে, এটি স্বাধীনতার পর ভারতের সবচেয়ে বড় কর সংস্কার। কিন্তু এতে পণ্যের দামে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে ব্যবসায়ীরা খুবই অনিশ্চিত। ফলে অনেকেই পরদিন ব্যবসা বন্ধ করে দেন।আমার মতো অনেকেই বহুদিন ধরে জাতীয় পণ্য ও পরিষেবা করের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন, যার মাধ্যমে অর্থনীতিকে আরও স্বচ্ছ, ডিজিটাইজ ও দক্ষ করার মাধ্যমে ভারতীয় বাজারে সমরূপতা আনা সম্ভব। কিন্তু ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে এক দশক পর এটি প্রবর্তিত হলো। ওই সময় মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বলেছিলেন, এতে রাজ্যের অধিকার বিঘ্নিত হবে। তারা রাজস্ববঞ্চিত হবে।কিন্তু আপনার অবস্থান নির্ভর করবে আপনার ক্ষমতার ওপর—এই প্রবাদ প্রমাণ করতে মোদি দিল্লিতে বসে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করলেন। ক্ষমতায় আসার তিন বছর পর তিনি জিএসটি বাস্তবায়ন করলেন, যেটা নিয়ে তিনি একসময় উপহাস করেছেন।কিন্তু যে রূপে তিনি এটি বাস্তবায়ন করলেন, তা এর প্রবক্তাদের আশা পূরণ করতে পারেনি। আট মাস আগে ডিমনিটাইজেশন করে তিনি বাজার থেকে বড় অঙ্কের নোট তুলে নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন, তার মতো এই জিএসটিও ঝামেলা ও বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।বস্তুত মনে হবে, মোদি জিএসটি প্রবর্তন করে বিশ্বের সবচেয়ে জটিল ও খণ্ডিত পরোক্ষ কর ব্যবস্থার জায়গায় বিশ্বের সবচেয়ে সমরূপ পরোক্ষ কর ব্যবস্থা চালু করেছেন। অধিকাংশ দেশে একক জিএসটি হার থাকলেও ভারতে চারটি হার থাকবে: ৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ। খাদ্যশস্য, সিরিয়াল ও তাজা দুধের ওপর কর থাকবে না, আর দামি গাড়িসহ অন্যান্য দামি ভোক্তা পণ্যের ওপর কর বসবে ৪৩ শতাংশ ও তারও বেশি।অন্যদিকে সোনার ওপর অদ্ভুত ৩ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে (পৃথিবীতে ভারত সবচেয়ে বেশি সোনা আমদানি করে। সরকার সোনার ওপর বেশি কর আরোপ করতে আগ্রহী নয়, যাতে চোরাচালান না বাড়ে)।এই সাতটি ভিন্ন কর হারের কারণে জিএসটি নিশ্চিতভাবেই ‘এক জাতি, এক কর’-এর লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না। ১ হাজার ২০০ পণ্য ও প্রায় প্রতিটি কল্পনাসাধ্য সেবা বিভিন্ন হারে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যদিও মানুষের বিরোধিতার আগে সেটা হয়নি।আর কম করে বললেও এর ফল হয়েছে বিভ্রান্তিকর। উদাহরণস্বরূপ, দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য চারটি ভিন্ন কর হার ঠিক হতে পারে, আবার সাধারণ আটার ওপর কর আরোপ করা না হলেও ব্র্যান্ডের আটার ওপর ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। ফলে কোন পণ্যে কত কর আরোপিত হবে, তা নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি রয়েছে।কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়েছে বলে ব্যাপারটা আরও জটিল হয়ে পড়েছে। কারণ, রাজ্যগুলো রাজস্বের কিছু বড় উৎসের ওপর নিজস্ব ক্ষমতা বজায় রাখতে চেয়েছিল, মোদি সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য যেসব পণ্য বাদ পড়েছে, তার মধ্যে আছে রিয়েল এস্টেট ও অ্যালকোহল।যে অ্যালকোহল কালোটাকার বড় এক উৎস, যদিও ধরে নেওয়া হয়েছিল এটা উৎখাত করা মোদি সরকারের বড় লক্ষ্য। এর সঙ্গে আছে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য (যার বর্তমান কর হার ৪৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ শুল্ক।তবে এখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জগাখিচুড়ি মার্কা বিক্রয় করের জায়গায় জিএসটি আসছে, তা বড় স্বস্তির খবর। আগের ব্যবস্থা বড়ই জটিল ছিল। কিন্তু জিএসটিতেও এমন জটিলতা আছে যে এর কারণে কর ফাঁকি, ইচ্ছামাফিক কর আদায় ও এমনকি কর কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মতো ব্যাপারও ঘটতে পারে।জিএসটি পণ্যের শ্রেণিবিভাগ কীভাবে হবে, তা নিয়ে প্রচুর মামলা হতে পারে। এমনকি জিএসটি চালু হওয়ার আগেই ভারতীয় বিচার বিভাগ পরোক্ষ কর-সংক্রান্ত আপিলের ভারে হাঁসফাঁস করছিল, যার কারণে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের রাজস্ব আটকে পড়ে আছে। ভারতীয় বিচার বিভাগ এমনিতেই জটে পড়েছে, ২ কোটি ৪০ লাখ মামলা ঝুলে আছে। এ অবস্থায় রাজস্ব-সংক্রান্ত আরও মামলা হলে বিচার বিভাগের আর উপায় নেই।কিন্তু এতেই ভারতের নব্য জিএসটি-সংক্রান্ত সমস্যার শেষ হচ্ছে না। এই ব্যবস্থায় প্রতিটি ফার্মকে মাসে তিনটি (বছরে ৩৭টি) অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এখন পর্যন্ত ৮০ লাখ করযোগ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জিএসটিএনে নিবন্ধিত হয়েছে।কিন্তু অধিকাংশ ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার ও বিক্রেতা কম্পিউটার–সমর্থিত নয়। এখন তাদের কম্পিউটার শিখতে উঠেপড়ে লাগতে হবে। এ ছাড়া যত দ্রুততার সঙ্গে জিএসটি চালু করা হলো, তাতে সন্দেহ জাগতেই পারে, এই সফটওয়্যারটি কি যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে বা এটি কি মাসে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ইনভয়েস সামাল দিতে পারবে? ইতিমধ্যে ঘন ঘন সিস্টেম ক্রাশের খবর আসতে শুরু করেছে।কর হার নিয়ে বিভ্রান্তি, অতিরিক্ত নথিপত্র ও এর বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ থাকার কারণে এই ভীতি সৃষ্টি হয়েছে যে জিএসটি মানুষের জীবিকার ক্ষতি করবে। ভারতীয় অর্থনীতির বড় একটি দিক হলো অনানুষ্ঠানিক খাত, কয়েক মাস আগের ডিমনিটাইজেশনের কারণে এই খাতটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জিএসটির কারণে তারা দ্বিতীয়বারের মতো ধাক্কা খেতে পারে, এবার সেটা প্রাণঘাতী হতে পারে।জিএসটি ভারতের জন্য সফলতা বয়ে আনতে পারে। কিন্তু তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বসে একটি যৌক্তিক ও সাধারণ ব্যবস্থা বের করতে হতো, তার জন্য সর্বোচ্চ করের সীমাও কমানো দরকার ছিল। কারণ, প্রায় ৩০ শতাংশ পণ্যের জন্য বিজেপি ২৮ শতাংশ কর আরোপ করেছে, যেখানে কংগ্রেস দাবি করেছে ১৮ শতাংশ।বাস্তবায়নের আগে মোদি সরকারের উচিত ছিল এই ব্যবস্থা নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। এর সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, আন্তরাজ্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের প্রতি মাসে তিনটি রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত করা। কর পরিদর্শকদেরও এর সঙ্গে ধাতস্থ হওয়া দরকার ছিল। এ ছাড়া এতে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য, বিদ্যুৎ, রিয়েল এস্টেট খাতও যুক্ত করা দরকার। মোদ্দা কথা হলো, জিএসটির উদ্দেশ্য ভালো, কিন্তু এই উপায়ে এটা অর্জন করা সম্ভব নয়।অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট।শশী থারুর: সাবেক ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
327,593
খুলনা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জুন ২০১৬, ১৯:৩২
০৮ জুন ২০১৬, ১৯:৫৩
খুলনা,আইন ও বিচার
0
খুলনায় সাত সবজি বিক্রেতাকে জরিমানা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/881914
রসিদ প্রদান না করা, ডিজিটাল ওজনমাপক যন্ত্র ব্যবহার না করা ও পণ্যমূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করায় সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) উদ্যোগে সকালে নগরের দৌলতপুরের জিলানী পাইকারি কাঁচাবাজারে পণ্যমূল্য পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করা অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ও দৌলতপুর থানা-পুলিশের সহযোগিতায় পণ্যমূল্য মনিটরিং করার সময় কেসিসির বাজার তত্ত্বাবধায়ক গাজী সালাউদ্দিন, ওই কাঁচাবাজারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।অভিযানে সাতজন ব্যবসায়ীকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়।কেসিসির বাজার তত্ত্বাবধায়ক গাজী সালাউদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা রসিদ না দেওয়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম দ্বিগুণ করে বিক্রি করেন। সোনাডাঙ্গার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা পণ্য রসিদ দিলেও দৌলতপুরের ওই বাজারটি শহরের বাইরে হওয়ায় তাঁরা রসিদ দেন না। তাই ওই বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই কেসিসির এ অভিযান চলবে বলে তিনি জানান।আজ প্রথম আলোতে ‘খুলনার কাঁচাবাজার, পাইকারির চেয়ে খুচরায় দ্বিগুণ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাইকারি বাজার আর খুচরা বাজারের মধ্যে দামের পার্থক্য দ্বিগুণের বেশি।
230,094
-1
sports
খেলা
১১ এপ্রিল ২০১৪, ০২:১০
১১ এপ্রিল ২০১৪, ০২:১০
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
জয়া-সাঙ্গাকে রানাতুঙ্গার সমর্থন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/189997
বিশ্বজয়ের উৎসবের মধ্যেই প্রকাশ্য হয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের তিক্ততা। অবসর-বিতর্কে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সঙ্গে কথার লড়াই চলছে মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার। সাধারণ্যের সহমত অবশ্যই জয়া-সাঙ্গার সঙ্গে। লঙ্কান ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি এবার পাশে পাচ্ছেন আরেক কিংবদন্তিকে। অর্জুনা রানাতুঙ্গার মতে, ঠিক সময়েই অবসর নিয়েছেন জয়াবর্ধনে ও সাঙ্গাকারা।দেড় যুগ পর দেশকে বিশ্ব শিরোপা এনে দেওয়া দল যখন নানা আয়োজনে অভিনন্দিত হচ্ছে, পাশাপাশিই চলছে দলের দুই মহিরুহের অবসর-বিতর্ক। কিন্তু বোর্ডের অসন্তুষ্টির কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না রানাতুঙ্গা, ‘অন্য আর সবার চেয়ে ক্রিকেটাররা নিজেরাই সবচেয়ে ভালো জানে, কখন বিদায়ের সময় হয়েছে। আগেও আমরা অনেকবার দেখেছি, টি-টোয়েন্টি মূলত তরুণদের খেলা। আমি নিশ্চিত, ওরা দুজন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’ইনসাইড স্পোর্টস ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক অধিনায়ক উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন দলের তরুণদেরও। এমনিতে টি-টোয়েন্টির প্রতি মোটেও সুনজর নেই রানাতুঙ্গার। কিন্তু বিশ্ব শিরোপা এমনই একটি ব্যাপার যে বিরক্তিগুলোও রূপ নেয় মুগ্ধতায়। রানাতুঙ্গা যেমন মুগ্ধ দলের পারফরম্যান্সে। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা, গড়ে উঠেছিল দলীয় ঐক্য। এই দলটারও এই দিকটাই ভালো লেগেছে রানাতুঙ্গার, ‘টুর্নামেন্টের দিকে ফিরে তাকালে দেখতে পাবেন, দলের তরুণদের অবদান ছিল অনেক বড়। মাহেলা-সাঙ্গাদের কথা হবে, মালিঙ্গার কথা বলা হবে, কিন্তু আমার মতে দলের সবাই বিশেষ অবদান রেখেছে। এমনিতে এ ধরনের বড় টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতলে একজন-দুজন বড় নায়ক থাকেন। কিন্তু এবার আমাদের সিনিয়র, তরুণ সবাই কিছু না-কিছু অবদান রেখেছে। লঙ্কান ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য এটা দারুণ ব্যাপার।’রানাতুঙ্গার কথার সাক্ষ্য দিচ্ছে টুর্নামেন্ট-সেরা একাদশও। চ্যাম্পিয়ন দলের মাত্র একজনই সুযোগ পেয়েছেন টুর্নামেন্ট-সেরা একাদশে—লাসিথ মালিঙ্গা। গোটা টুর্নামেন্টে একটি মাত্র ফিফটি জয়াবর্ধনের, ফাইনালের আগে পুরো নিষ্প্রভ ছিলেন সাঙ্গাকারা। দলের ‘আনসাং হিরোদের’ কথা বলেছেন রানাতুঙ্গা, ‘কুলাসেকারা, সাচিত্রা সেনানায়েকে, কুশল পেরেরা ও রঙ্গনা হেরাথের মতো অনেকেই আড়াল থেকে আলো ছড়িয়ে গেছেন। সাচিত্রা গোটা টুর্নামেন্টেই ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করেছে, কুলা কঠিন সময়ে নিজেকে মেলে ধরেছে। রঙ্গা শুরুতে সুযোগই পায়নি। অথচ দলের আসার পর থেকেই উইকেট নিয়েছে, রানটাও আটকে রেখেছে। আর কুশল আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সাঙ্গা-জয়া-দিলশানের ওপর চাপ কমিয়ে দিয়েছে। সনাৎ জয়াসুরিয়ার মতোই খেলেছে সে। কখনো কখনো মনে হতে পারে বাজে শট খেলে আউট হয়েছে, কিন্তু ওর খেলার ধরনই তো এটা!’অধিনায়ক হয়েও একাদশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চান্ডিমাল আলাদা প্রশংসা পেয়েছেন পূর্বসূরির, ‘চান্ডি নিজে ভালো ফর্মে না থাকলেও ওর নেতৃত্বে দল কিন্তু ভালো করছিল, র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর জায়গা ধরে রেখেছিল। আর অধিনায়ককে বাদ দেওয়ার অধিকার কারও নেই। জয়ী সমন্বয় ধরে রাখার জন্য সে নিজে যদি নিজের জায়গাটা বিসর্জন দেয়, ওর অনেক বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য। অন্য ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে সে।’ ওয়েবসাইট।
65,050
-1
sports
খেলা
২২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৪
২২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৫
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
ফিফা কেলেঙ্কারির সময়পঞ্জি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/719326
২০১০২ ডিসেম্বর: ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্তি রাশিয়া ও কাতারের। নির্বাচনের ঠিক আগে ভোট বিক্রির অপচেষ্টার দায়ে ফিফা নির্বাহী কমিটির ছয় সদস্য বহিষ্কার।২০১১২৩ জুন: অসদাচরণের দায়ে আজীবন নিষিদ্ধ ব্ল্যাটারের প্রতিদ্বন্দ্বী ও ফিফার সাবেক সহসভাপতি কাতারের মোহাম্মদ বিন হাম্মাম।২০১৩৩০ এপ্রিল: ফিফার সাবেক সভাপতি হোয়াও হাভেলাঞ্জ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য রিকার্ডো টিসেরা ও নিকোলাস লিওজের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ।৬ মে: ফিফার নৈতিকতা কমিটি কনক্যাকাফের সাবেক মহাসচিব চাক ব্লেজারকে বহিষ্কার করে।২০১৫২৭ মে: জুরিখের এক হোটেলে সুইস পুলিশের অভিযান। দুই সহসভাপতিসহ ফিফার সাত কর্মকর্তা আটক। যুক্তরাষ্ট্র ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলার পর অভিযান চালায় সুইজারল্যান্ডের পুলিশ। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ নিয়ে ভোট কেনাবেচার অভিযোগও ছিল।২৯ মে: জর্ডানের প্রিন্স আলী বিন আল হুসেইনকে হারিয়ে পঞ্চম মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত ব্ল্যাটার।২ জুন: দুর্নীতি নিয়ে চাপে পিষ্ট ব্ল্যাটারের আগাম সভাপতি নির্বাচন দিয়ে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা।১৭ সেপ্টেম্বর: কালোবাজারে বিশ্বকাপ টিকিট বিক্রির অভিযোগে ফিফা মহাসচিব জেরোম ভালকেকে বাধ্যতামূলক ছুটি।২৫ সেপ্টেম্বর: আর্থিক অনিয়ম ও বিধি ভঙ্গ করে উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনিকে টাকাপয়সা দেওয়ার অভিযোগে ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডে ফৌজদারি তদন্ত শুরু। প্লাতিনির দাবি, অর্থ বৈধভাবেই নেওয়া।৮ অক্টোবর: ফিফার নৈতিকতা কমিটি ব্ল্যাটার, প্লাতিনি ও ভালকেকে ৯০ দিনের জন্য বহিষ্কার করল। সভাপতি পদের আরেক প্রার্থী দক্ষিণ কোরিয়ার চুং মং-জুং নিষিদ্ধ ছয় বছরের জন্য।১৮ নভেম্বর: ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির করা আপিল ফিফার আপিল কমিটিতে খারিজ।১১ ডিসেম্বর: সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে প্লাতিনির ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা বহাল।২১ ডিসেম্বর: ফিফা থেকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ ব্ল্যাটার-প্লাতিনি।
185,579
যশোর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ আগস্ট ২০১৪, ০০:৫৫
০১ আগস্ট ২০১৪, ০০:৫৬
খুলনা বিভাগ
0
বেনাপাল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি সাত ঘণ্টা বন্ধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/280102
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের চেকপোস্ট সড়ক থেকে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অস্থায়ী কার্যালয় উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার আমদানি-রপ্তানি প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২৬ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গত বুধবার রাতে ওই কার্যালয় উচ্ছেদ করেন। প্রতিবাদে গতকাল সকাল নয়টা থেকে বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা আমদানি-রপ্তানির পণ্য ঢোকার দুটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যস্থতায় বিকেল চারটা ২০ মিনিটে কার্যক্রম শুরু হয়।বন্দর ও বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল চেকপোস্ট সড়কের ওপর পণ্যের চালানের মেনুফেস্ট (কাগজপত্র যাচাই-বাছাই) ও কার পাস (ভারতীয় ট্রাক, চালক ও সহকারীর এ দেশে আসার অনুমতিপত্র) লিপিবদ্ধ করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমসের কার্গো শাখার দুটি অস্থায়ী টংঘর রয়েছে। সড়ক থেকে ঘর দুটি সরিয়ে পাশে স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য বিজিবি থেকে একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেনাপোল পৌরসভার তত্ত্বাবধানে এর নির্মাণকাজের রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে। গত ২৬ জুলাই ২৬ বিজিবি অধিনায়ক ঘর দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাস্টমস কমিশনারের কাছে মুঠোফোনে অনুরোধ করেন। তবে ঈদের ছুটিতে বিজিবির সদস্যরা স্থাপনাগুলো সরিয়ে দেন।গতকাল সকাল পৌনে আটটার দিকে বন্দর ও কাস্টম কর্মকর্তারা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করতে গিয়ে দেখেন, তাঁদের বসার ঘর দুটি নেই। তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে তাঁরা আমদানি-রপ্তানির দুই ফটকে তালা দিয়ে ধর্মঘট আহ্বান করেন।
81,739
বিবিসি
international
আন্তর্জাতিক
২১ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:০১
২১ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:০২
লাতিন আমেরিকা,ডোনাল্ড ট্রাম্প
0
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অর্থ দেয় ভেনেজুয়েলা!
http://www.prothom-alo.com/international/article/1152681
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লাতিন আমেরিকার সমাজতন্ত্রী দেশ ভেনেজুয়েলার সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। এরপরও গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অনুদান দিয়েছিল ভেনেজুয়েলা! যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনই এ তথ্য জানিয়েছে।সম্প্রতি বেশ কিছু নথি অবমুক্ত করে কমিশন। এতে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানবিষয়ক নথিও ছিল। আর সেসব নথি থেকেই ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ভেনেজুয়েলার অর্থ দেওয়ার বিষয়টি জানা যায়। নথিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেল কোম্পানি শিটগো পেট্রোলিয়াম। এই প্রতিষ্ঠানটি ট্রাম্পের আড়ম্বরপূর্ণ শপথ অনুষ্ঠানে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছিল। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানও শপথ অনুষ্ঠানের জন্য অনুদান দিয়েছিল। বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় কোম্পানি পেপসি দেয় আড়াই লাখ ডলার। তৈরি পোশাকের নামী প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট দিয়েছিল দেড় লাখ ডলার।এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের নথিতে দেখা যায়, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য রেকর্ড ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি অনুদান পাওয়া যায়। এই অর্থ ২০০৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শপথ অনুষ্ঠানের ওঠা অর্থের দ্বিগুণ। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ অনুদান দিয়েছেন লাসভেগাসের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী শেলডন অ্যাডেলসন। তাঁর অনুদানের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলার। ট্রাম্প বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এবং লকহিড মার্টিনের সমালোচনা করলেও এ দুই প্রতিষ্ঠান তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে ঠিকই অনুদান দিয়েছিল।
312,693
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২২
২৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২২
আমার চট্টগ্রাম
0
কদলপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/433195
রাউজানের কদলপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভা ১৬ জানুয়ারি বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিত ভট্টাচার্য্য। বক্তব্য দেন মো. ফরহাদুর রহমান চৌধুরী, মো. ওসমান চৌধুরী, দীপক চক্রবর্তী, কাজী জাসেদুল ইসলাম, মো. রবিউল হোসেন শাহ, মঈনুদ্দিন চৌধুরী, মো. এনামুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, আহম্মদ ছফা প্রমুখ। সভায় কদলপুর ইউনিয়নের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি।
109,832
এএফপি
international
আন্তর্জাতিক
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০০:১২
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০২:৪৪
যুক্তরাষ্ট্র
0
ফের যৌন হয়রানির অভিযোগ, যথারীতি প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের
http://www.prothom-alo.com/international/article/1000607
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও দুজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দুজনেরই অভিযোগ, ট্রাম্প তাঁদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন। তবে ট্রাম্প গত শুক্রবার বলেছেন, বিরোধীদের ইন্ধনে সংবাদমাধ্যম এবং প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদেরা একজোট হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন।প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, রিপাবলিকান প্রার্থীর কারণে মার্কিন গণতন্ত্র আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে খাদের কিনারায় থাকবে।এদিকে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, হিলারির পক্ষে নির্বাচনে জালিয়াতির চেষ্টা করছে ‘অসৎ’ গণমাধ্যম। নিউ হ্যাম্পশায়ারের পোর্টসমাউথে গতকাল শনিবার এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলছে অসৎ গণমাধ্যম। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনে জালিয়াতি করে হিলারিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে চাইছে।’ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগকারী দুই নারীর একজন হলেন, ট্রাম্পের একসময়ের রিয়েলিটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’-এর প্রতিযোগী সামার জার্ভোস। অপরজন হলেন সাবেক মডেল ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন।জার্ভোসের দাবি, ২০০৭ সালে চাকরির আলোচনার জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হোটেলে ডেকে নিয়ে ট্রাম্প তাঁকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি বাধা দিলে শেষ পর্যন্ত কম বেতনের একটি চাকরির প্রস্তাব করেন ট্রাম্প।তবে জন ব্যারি নামের জার্ভোসের একজন আত্মীয় দবি করেন, জার্ভোস বছরের পর বছর ধরে ট্রাম্পের প্রশংসা করে এসেছেন। এখন তিনি (জার্ভোস) ট্রাম্পের প্রতি নাখোশ। কারণ, প্রাথমিক প্রচার কার্যক্রমের সময় ট্রাম্প তাঁকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রেস্তোরাঁয় যেতে রাজি হননি।সাবেক মডেল ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন ওয়াশিংটন পোস্টকে শুক্রবার বলেন, নব্বইয়ের দশকে নিউইয়র্কের একটি ক্লাবে ওয়েট্রেস হিসাবে কাজ করার সময় একদিন ট্রাম্প তাঁকে জড়িয়ে ধরে কাপড়ের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেন। তিনি বলেন, কোনো বাক্যালাপ, এমনকি তাঁর দিকে না তাকিয়েই ট্রাম্প এমনটা করেন; সে সময় ট্রাম্পের অভিব্যক্তি এমন ছিল যে তিনি এ রকম কিছু করলেও তাঁর কিছুই হবে না।ট্রাম্পের এ ধরনের আচরণের কয়েকটি অভিযোগের মধ্যে এ দুটিই সর্বশেষ। এসবের ফলে প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবারের নির্বাচনকে ‘অবিশ্বাস্য রকম যন্ত্রণাদায়ক’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে এক প্রচারসভায় বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে যা কিছু ঘটছে, তাতে আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই। এটা আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।’ ২০০৫ সালের একটি অডিও রেকর্ড ৭ অক্টোবর প্রকাশ পায় যাতে ট্রাম্প বলছিলেন, তিনি বিখ্যাত বলেই মেয়েদের সঙ্গে অসদাচরণ করেও পার পেয়ে যেতে পারেন।ওই অডিও রেকর্ড প্রসঙ্গে ট্রাম্প শুক্রবার নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনসবোরোয় এক সমাবেশে বলেন, ‘মিথ্যা, মিথ্যা, মিথ্যা। আমি জানি না কাদের কথা বলা হচ্ছে। এসব গল্প একেবারেই কাল্পনিক।’জেসিকা লিডসে নামের আরেক নারী এর আগে একই ধরনের অভিযোগ আনেন। ওই নারী দাবি করেন, তাঁকে আশির দশকে একটি উড়োজাহাজে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিলেন ট্রাম্প।
256,491
-1
sports
খেলা
০৯ মার্চ ২০১৬, ০১:৩৭
০৯ মার্চ ২০১৬, ১২:০২
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,টি ২০ বিশ্বকাপ ২০১৬
0
খেলোয়াড় পরিবর্তন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/793126
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে অধিনায়ক বদলেছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা (এসএলসি)। পরিবর্তন এনেছে দলেও। পূর্বঘোষিত লঙ্কান টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন জেফরি ভ্যান্ডারসে ও নিরোশান ডিকভেলা। এই দুজনের পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছে লাহিরু থিরিমান্নে ও সুরঙ্গা লাকমলকে। শুধু শ্রীলঙ্কা দলেই নয়, পরিবর্তন এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলেও। পিঠের চোটের কারণে দল থেকে আগেই ছিটকে পড়েছিলেন লেন্ডল সিমন্স। পরশু তাঁর বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছে নতুন মুখ এভিন লুইসকে। স্কাই স্পোর্টস।
209,122
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:২৩
০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩৭
অপরাধ,আওয়ামী লীগ,রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,সুনামগঞ্জ
null
সাংসদের মনোনয়নপত্রে ওসির হাত, বিতর্ক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1567728
মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন সাংসদ। তা গ্রহণ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। মনোনয়নপত্রটি ধরে আছেন থানার ওসিও। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে।সমালোচকদের দাবি, জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসেম সাংসদের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা ন্যায়সংগত হয়নি। তবে ওসি বলছেন, সমালোচকেরা ফায়দা নিতে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রচার করছে।ওসি আবুল হাসেম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি ইউএনওর পাশে ছিলেন। তিনি তাঁকেও (ওসিকে) মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করতে বলেন। এ অবস্থায় ইউএনওর সঙ্গে ওই মনোনয়নপত্রে হাত দেন। ‘আমি ফোর্স নিয়ে সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলাম। সাংসদের সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি কীভাবে ছিলাম, সেটি ছবি দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়’ বলেন ওসি।প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধরমপাশা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন (রতন)। তিনি গত বুধবার দুপুরে জামালগঞ্জের ইউএনও কর্মকর্তা শামিম আল ইমরানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় ওই কার্যালয়ে ছিলেন সাংসদের অনুসারীদের পাশাপাশি থানার ওসি আবুল হাসেম। জমা দেওয়ার সময় তিনিও মনোনয়নপত্রে হাত দেন। এই ছবি এলাকার কয়েকজন ফেসবুকে প্রচার করেন। তাতে লেখা হয়, সাংসদের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওসি আবুল হাসেম।ওই ছবিতে দেখা যায়, সাংসদ হাস্যোজ্জ্বল মুখে মনোনয়নপত্রটি জমা দিচ্ছেন। তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে সেটি গ্রহণ করছেন ইউএনও ইমরান। মনোনয়নপত্রে হাত রেখে ইউএনওর ঠিক বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ওসি আবুল হাসেম। তাঁদের ঘিরে আছেন আরও সাত-আটজন, যাঁদের কয়েকজনের হাত রয়েছে ওই মনোনয়নপত্রে।ইউএনও শামিম আল ইমরান বলেন, ‘ওসি আমার কক্ষেই বসে ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র দেওয়ার সময় আমিই তাঁকে কাছে আসতে বলি। তিনি আমার সঙ্গে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে পারবেন না, এটা তো কোথাও লেখা নেই। এখন ছবি নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, সেটি একেবারেই সঠিক নয়।’
384,409
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:২৩
০৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:২৪
পটিয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,রাজনীতি
0
আ.লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1279861
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন বিএনপিদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফোরকান। গত বৃহস্পতিবার তিনি চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন।আবেদনে বলা হয়, গত ২৬ জুলাই কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর নামে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পাঠানো চিঠিতে জানা যায়, ফারুক চৌধুরী একজন ঋণখেলাপি। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আপত্তি উত্থাপন করলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাঁর কাগজপত্র উপস্থাপন করার জন্য সময়ের আবেদন করেন।আবেদনে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অগ্রহণযোগ্য ও বাস্তবতার বিপরীত কাগজপত্র তৈরি করে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দাখিল করেন। এভাবে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ভুল পথে পরিচালিত করে মনোনয়নপত্র বৈধ করে নেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখে ফারুক চৌধুরীর ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ি থাকায়  আইন অনুযায়ী তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আবশ্যক।তবে ফারুক চৌধুরী এ অভিযোগকে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী অপপ্রচার বলে দাবি করেন।চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক চৌধুরী নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করেছেন। তাই তিনি খেলাপি নন।
331,238
মাগুরা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৯
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:০০
মাগুরা,খুলনা বিভাগ,অপরাধ
0
গয়না নিয়ে উধাও
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/779014
মাগুরায় খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পরিচয় দিয়ে সার্কিট হাউসে অবস্থান করে গত সোমবার শহরের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন রায়। ওই প্রতারকের ব্যবহৃত গাড়িটি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। মাগুরার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মুঠোফোনে ওই ব্যক্তি নিজের নাম খোরশেদ আলম বলেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বলে পরিচয় দেন। তিনি কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম করে চলে যাবেন বলে সার্কিট হাউসের একটি কক্ষ চান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে বিশ্রামের জন্য একটি কক্ষ দেওয়া হয়। পরে তিনি গয়না কেনার কথা জানালে আমি ওই দোকানে পাঠাই।’
204,651
তারেক মাহমুদ, সাউদাম্পটন থেকে
sports
খেলা
২৫ জুন ২০১৯, ১৫:৫৬
২৬ জুন ২০১৯, ১০:০৪
ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল,বাংলাদেশ ক্রিকেট
null
নিজের শেষ দেখছেন বাংলাদেশ কোচ?
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1601049
বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসকে নিয়ে বিসিবির মধ্যে আছে অসন্তুষ্টি। কর্মকর্তাদের অনেকেই মনে করেন কাউন্টি দলের কোচ হিসেবে যোগ্য হলেও জাতীয় দলের কোচ হওয়ার যোগ্যতা তাঁর নেই। পথপ্রদর্শনের নেতৃত্বগুণও নাকি নেই তাঁর!‘আমাকে আর ছয় মাস রাখলে আমি বাংলাটা আরও ভালোভাবে শিখে ফেলতাম’-আফগানিস্তান ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন শেষে রসিকতা করলেন বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস। শুনে বাংলাদেশের এক সাংবাদিকদের পাল্টা রসিকতা, ‘আপনি আমাদের বিশ্বকাপ এনে দিন। আপনাকে আমরা আরও ছয় বছর রেখে দেব।’কিন্তু রসিকতার ছলেই-বা হঠাৎ রোডস ওই কথা কেন বলবেন! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে তাঁর চুক্তি আগামী বছর অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তাহলে মাত্র ছয় মাসের চিন্তা কেন আসবে ইংলিশ কোচের মনে? তবে কি স্টিভ রোডসও বুঝে গেছেন, বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে এই বিশ্বকাপের পরই শেষ দেখে ফেলতে পারেন তিনি!না, এখনো সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। কিন্তু আড়ালে-আবডালে প্রসঙ্গটা আসছেই। জাতীয় দলের ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে দেশ থেকে বিশ্বকাপ দেখতে আসা বিসিবি কর্তাদের আলোচনা-সর্বত্রই রোডসকে নিয়ে অসন্তুষ্টি। বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় দলের অনেক সদস্যও একমত-কাউন্টি দলের কোচ হিসেবে হয়তো যোগ্য উস্টারশায়ারের সাবেক এই কোচ। কিন্তু জাতীয় দলের কোচ হওয়ার মতো যথেষ্ট যোগ্যতা তাঁর নেই। রোডসের মধ্যে নেই বাংলাদেশের মতো উন্নতির সিঁড়িতে থাকা একটা দলের পথপ্রদর্শক হওয়ার মতো নেতৃত্বগুণও।রোডস মানুষ হিসেবে অতি নরমসরম। বিশ্বকাপের আগে কোচিং স্টাফকে শক্তপোক্ত করতে একপর্যায়ে তো ডিরেক্টর অব কোচেস পদ দিয়ে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ড্যারেন লেম্যানকে দলের সঙ্গে যুক্ত করারও চিন্তা করেছিল বিসিবি। তবে বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীত হতে পারে। কোচদের মধ্যে তৈরি হতে পারে ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব। এসব আশঙ্কা থেকে চিন্তাটি আর বাস্তবতার দেখা পায়নি।দলের ওপর কর্তৃত্বের অভাব, ভালো গেমপ্ল্যান তৈরি করতে না-পারা, ম্যাচ পরিস্থিতির দাবি মেনে মাঠে সঠিক বার্তা পাঠাতে ব্যর্থতা-মূলত এই ব্যাপারগুলোই প্রশ্ন তুলছে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে রোডসের যোগ্যতা নিয়ে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয় ও বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোতেও কোচের ভূমিকা সামান্যই মনে করে বোর্ড এবং ক্রিকেটারদের অনেকে। জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারের মন্তব্য, ‘উনি খুব ভালো মানুষ। কিন্তু ভালো কোচ নন। টিম মিটিংয়ে উনি নিজে একটা ব্রিফ পর্যন্ত দেন না। দলের কেউ তাকে ভয় পায় না, কোচের যেটুকু সম্মান পাওয়া উচিত, সেটুকুও তিনি পান না।’টিম মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের গেমপ্ল্যান বুঝিয়ে দেওয়ার কাজটা নিয়মিতই করে আসছেন দলের কম্পিউটার-বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন। কোচ থাকেন নির্বাক¯শ্রোতার ভূমিকায়। অথচ হওয়ার কথা উল্টোটি। সাধারণত প্রতিপক্ষ ও নিজেদের খেলোয়াড়দের তথ্য-পরিসংখ্যান ঘাঁটাঘাঁটি করে কম্পিউটার-বিশ্লেষকেরাই গেমপ্ল্যানের ছক এঁকে দেন। নিজের অভিজ্ঞতা ও চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রধান কোচ সেটিকে আরও নিশ্ছিদ্র করে তুলে খেলোয়াড়দের তা বুঝিয়ে দেন। বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে সেই দিন গত হয়েছে অনেক দিন। গেমপ্ল্যান তৈরি থেকে সেটি খেলোয়াড়দের বুঝিয়ে দেওয়ার কাজটাও এখন করছেন সম্প্রতি বিসিবির চাকরিতে স্থায়ী হওয়া ভারতীয় কম্পিউটার-বিশ্লেষক শ্রীনিবাস।২০১৭ সালের শেষ দিকে চুক্তির মাঝপথে বাংলাদেশ কোচের চাকরি ছেড়ে দেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। নতুন কোচ খুঁজতে পিটার কারস্টেনকে প্রায় ৩০ হাজার ডলারের বিনিময়ে দায়িত্ব দেয় বিসিবি। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের পরামর্শেই গত বছরের জুন মাসে প্রায় ২৩ হাজার ডলার বেতনে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবি রোডসকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১টি টেস্ট ও ৯টি ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক উইকেটকিপার রোডস। উস্টারশায়ারের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। এর বাইরে রোডসের সবচেয়ে বড় খ্যাতি-তিনি একজন ভালো মানুষ। হাথুরুসিংহের সঙ্গে একটার পর একটা তিক্ত অভিজ্ঞতার পর পরবর্তী কোচের মধ্যে এই গুণটিও দেখতে চেয়েছিলেন বিসিবি ও খেলোয়াড়েরা।কিন্তু রোডসের অতিরিক্ত ভালোমানুষিটাই এখন তাঁর বিপক্ষে যাচ্ছে। নিয়োগ দেওয়ার সময় কোচ রোডসের মধ্যে বিসিবি এমন কিছু খুঁজে পেয়েছিল, যা ছিল না হাথুরুসিংহের চরিত্রে। হাথুরুসিংহের অতিরিক্ত কঠোর আচরণ অনেককেই অনেক সময় আঘাত দিয়েছে। নতুন কোচও সে রকম হোক, তা চায়নি বোর্ড। কিন্তু এখন নতুন সমস্যা, ভালো কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের মধ্যে যা ছিল, সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না রোডসের মধ্যে। খেলোয়াড়দের নিজ থেকে ডেকে কখনোই কিছু বলেন না তিনি। দেন না কোনো পরিকল্পনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক পরিচালকের মন্তব্য, ‘কোচের আরও শক্ত হওয়া উচিত, যেটা হাথুরুসিংহের মধ্যে ছিল। শুধু ভালো মানুষ দিয়ে তো হবে না, ভালো কোচ হতে হবে। কথা না বললে, একটু কঠোর না হলে, খেলোয়াড়েরাও তো তাকে সমীহ করবে না।’ শুধু তা-ই নয়, হাথুরুসিংহেকে আবার ফিরিয়ে আনার গুঞ্জনও শোনা যায় কান পাতলে। যদিও বিসিবির এক পরিচালক সে সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘নতুন কোচ পেতে হয়তো সমস্যা হবে। তবে যে গেছে তাকে আবার ফিরিয়ে আনার প্রশ্নই ওঠে না।’দল ভালো খেলার পরও কোচকে নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা অস্বাভাবিকই। বিসিবিও তাই ক্রিকেট বিশ্বকাপের মধ্যে বিষয়টিতে হাত দিতে চাচ্ছে না। তা ছাড়া ভালো একজন নতুন কোচ খুঁজে পাওয়াটাও তো সহজ নয়। এ নিয়ে তাই সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ। তবে স্টিভ রোডসের আকাশে উড়তে থাকা সমালোচনার বাষ্প পূর্বাভাস দিচ্ছে, বাংলাদেশ দলে তাঁর সময় হয়তো শেষই হয়ে আসছে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেই কেবল একটা ‘লাইফলাইন’ পেতে পারেন তিনি। সেটিও অবশ্য তখনই হবে, যখন দলের সাফল্যে কোচের ভূমিকা খুঁজে পাবেন বোর্ড ও খেলোয়াড়েরা।
407,408
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ জুলাই ২০১৭, ০২:০৫
২৫ জুলাই ২০১৭, ০২:০৭
-1
0
মৌলভীবাজারে প্রথমা ও বেঙ্গলের বইমেলা আজ শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1264636
মৌলভীবাজারে আজ মঙ্গলবার থেকে ছয় দিনব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে। প্রথমা প্রকাশন ও বেঙ্গল পাবলিকেশনস যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।আজ বিকেল চারটায় মৌলভীবাজার পৌরসভা মিলনায়তনে এ বইমেলার উদ্বোধন করবেন মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। লেখক, পাঠক, সংস্কৃতিকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা বইমেলায় সার্বিক সহায়তায় রয়েছেন। বইমেলা ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলা চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত।মেলায় ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ কমিশনে প্রথমা প্রকাশনের বই এবং ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ কমিশনে বেঙ্গল পাবলিকেশনসের বই বিক্রি হবে। ২৫ শতাংশ কমিশনে বিক্রি হবে দেশের অন্যান্য প্রকাশনীর বই। এ ছাড়া ভারতীয় বই বিক্রি হবে ১ রুপি সমান ১ দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৮ টাকায়।
328,563
রাফিয়া আলম
life-style
জীবনযাপন
২৯ মার্চ ২০১৬, ০১:০৩
২৯ মার্চ ২০১৬, ০১:০৫
জেনে নিন,নকশা
0
খাবার ভালো রাখতে...
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/812992
গরমে খাবার দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়। তবে সঠিকভাবে খাবার সংরক্ষণের নিয়মগুলো জানা থাকলে খাবার ভালো রাখা যাবে বেশি সময় ধরে। সব খাবারের মেয়াদ এক নয়। ফ্রিজে রেখে ও ফ্রিজে না রেখে দুভাবেই খাবার সংরক্ষণ করা যায়। কোনো কোনো খাবার হয়তো রান্না না করেও কিছুদিন সংরক্ষণ করতে পারেন। কোনো খাবার হয়তো দ্রুত রান্না করে নিলেই ভালো থাকবে কিছুদিন। জেনে নেওয়া যাক গরমে খাবার ভালো রাখার পদ্ধতি।রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের প্রভাষক তাসমিয়া জান্নাত খাবার সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন—এ সময় ফ্রিজের তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করার পরপরই গরম করতে পারবেন। তবে ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করার পর খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তারপর খাবার গরম করলে ভালো। কোনো খাবার ফ্রিজ থেকে বের করার পর স্বাভাবিক ঘ্রাণের ব্যতিক্রম হলে যেমন, টকজাতীয় ঘ্রাণ হলে বা রঙের অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে অবশ্যই সেই খাবার খাবেন না।সবজি সংরক্ষণএই সময় সবজি ও ফলমূল খুব বেশি দিন ভালো থাকে না। ফ্রিজে চার-পাঁচ দিন ভালো রাখতে পারবেন। ফ্রিজের বাইরে আরও তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে।সবজি সংরক্ষণ করতে চাইলে বাজার থেকে সবজি আনার পরপরই দেখতে হবে কোনগুলো একটু নরম হয়ে গেছে বা খানিকটা পচে গেছে। বেছে আলাদা করে ফেলুন। ভালো সবজিগুলো ধুয়ে নিন। সবজিগুলো ফ্রিজে ঢোকানোর আগে যেন অবশ্যই ভালোমতো শুকিয়ে নেওয়া হয়। সবজির বোঁটা সহজেই পচে যায়। সবজি ফ্রিজে রাখার আগেই বোঁটা ফেলে দিন।কাঁচা মাছ কাঁচা মাংসকাঁচা মাছ বা মাংস অবশ্যই ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এভাবে মাছ দুই সপ্তাহ, মুরগি এক মাস এবং গরু ও খাসির মাংস ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।* মাছ ও মুরগির মাংস ফ্রিজে রাখার আগেই পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। গরু ও খাসির মাংস সাধারণত একটু লম্বা সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হয়, তাই এগুলো বাজার থেকে আনার পরপরই ফ্রিজে উঠিয়ে রাখলে ভালো।রান্নার পর* রান্না করা খাবার রাখতে চাইলে রান্নার পরই পরিবেশনের অংশটুকু বাদে বাকি খাবার বাক্সে ভরে নিন। বাক্স অবশ্যই পরিষ্কার ও শুকনো হতে হবে। প্লাস্টিকের বাক্সের চেয়ে কাচের বাটি (ঢাকনাসহ) খাবার রাখার জন্য ভালো।* বড় বাক্সে খাবার রাখা হলে বারবার চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হয়, এর ফলে খাবার সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। সম্ভব হলে ছোট ছোট বাক্সে ভরে রাখুন। কোনো বাক্সের খাবার একবার খাওয়া হলে সেই বাক্সের খাবার আর ফ্রিজে না রেখে একবারে খেয়ে নেওয়াই ভালো।* খাবার নাড়াচাড়া করার পর আবার যদি ফ্রিজে রাখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চুলায় জ্বাল দিয়ে নিতে হবে।* •বাক্সে রাখা খাবার গরম অবস্থায় ঢেকে দিলে ঢাকনার নিচে বাষ্প জমা হয় এবং এই বাষ্প আবার পানি হয়ে খাবারের মধ্যে পড়লে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই রান্না করা খাবারের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর ঢেকে নিয়ে ফ্রিজে উঠিয়ে রাখতে হবে।* রান্না করা মাছ-মাংস ডিপ ফ্রিজে ১০-১৫ দিন পর্যন্ত রাখা যায়।* বিরিয়ানি ও খিচুড়ির মতো খাবার ফ্রিজে এক-দুই দিনের জন্য রাখা যায়।দুধ ও দুধের তৈরি খাবার* দুধ ও দুধের তৈরি খাবার ফ্রিজে রাখলেও দিনে দুই-তিনবার চুলায় জ্বাল দেওয়া প্রয়োজন।* ডিপ ফ্রিজে দুধ রাখলে খাওয়ার আগে বের করে নিয়ে তরল হলে তা জ্বাল দিয়ে খেতে হবে।* দুধের তৈরি খাবারও রান্নার পরই পরিবেশনের জন্য আলাদা করে নিয়ে বাকি অংশ ছোট ছোট বাক্সে রাখতে হবে। চামচ ব্যবহার করার বিষয়ে রান্না করা অন্যান্য খাবারের মতোই সতর্কতা প্রয়োজন।ডিম সংরক্ষণ* কাঁচা ডিম ফ্রিজে রাখলে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।* ফ্রিজ থেকে বের করার পর পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ব্যবহারের আগেই বোঝা যায়, এটি ভালো আছে কি নেই। পানিতে ভেসে উঠলে ধরে নিতে হবে ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।* ডিম ভেঙে নুডলস বা অন্য কোনো খাবারে দিতে চাইলে সরাসরি চুলায় দেওয়ার চেয়ে আলাদা একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নেওয়া ভালো।* রান্না করা ডিম ফ্রিজে রাখলেও খুব একটা ভালো থাকে না। নুডলসে ডিম দেওয়া হলে সেই নুডলসও এক দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা যাবে না।ফল সংরক্ষণআনারস বা তরমুজ বাসায় আনার পর ছোট ছোট টুকরো করে বাক্সে ঢুকিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। ভালো থাকবে। তবে দুই দিনের জন্য।মসলাপাতিবাটা মসলা ডিপ ফ্রিজে ১০-১২ দিন ভালো থাকে। এমনিতে মসলা ফ্রিজে রাখলে অন্য খাবারেও মসলার ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে। তাই মসলা ফ্রিজে রাখলেও এয়ারটাইট বাক্সে রাখা প্রয়োজন। অন্যান্য মসলা ফ্রিজে রাখা গেলেও টুকরো করে রাখা পেঁয়াজ বা বেটে রাখা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে বিষক্রিয়া হয়ে যেতে পারে।ফ্রিজে না রেখে খাবার সংরক্ষণ•* লবণ ও হলুদ দিয়ে গরু বা খাসির মাংস কিছুটা কষিয়ে রাখা যেতে পারে। এভাবে মাংস সংরক্ষণ করতে হলে প্রতিদিন দুইবার জ্বাল দিতে হবে। তবে মুরগির মাংস বা মাছ এভাবে করতে গেলে ভেঙে যাবে এবং সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না।* •সবজি ধুয়ে নেওয়ার পর শুকনো হয়ে গেলে এমনিতেই দু-তিন দিন পর্যন্ত রাখা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সবজির স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে গিয়ে শুকনো ভাব চলে আসে।* •পেঁয়াজ, আদা, রসুন বাসায় আনার পর পাতলা কাপড় বা কাগজ বিছিয়ে নিয়ে সেটির ওপর এগুলো ছড়িয়ে রাখতে পারেন। এগুলো এমনভাবে রাখতে হবে, যেন ঘেমে না ওঠে।* এই সময়টাতে নরম করে ভাত রান্না করার চেয়ে ঝরঝরে করে রান্না করা ভালো। এভাবে রান্না করলে ভাত ভালো থাকে।* অতিরিক্ত গরমে ভাত নষ্ট বা নরম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে ভাতে পানি দিয়ে রাখা যায়। তবে পানি দেওয়া ভাত অনেকে খেতে পারেন না। তাই পানি দেওয়ার পর চুলায় অল্প আঁচে তাওয়ায় দমে রাখতে পারেন। এরপর ফ্যানের বাতাসে ভাত ছড়িয়ে রেখে ঠান্ডা করে নিন। খাওয়ার আগে হাঁড়িতে পানি নিয়ে সেই ভাত একবার ফুটিয়ে মাড় ঝরিয়ে খেতে পারেন।* এ সময় সহজেই রান্না করা ডাল টক হয়ে যায়। তাই ডাল ভালো রাখতে চুলায় জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। মাইক্রো ওভেনে গরম করে রাখলে খাবার ভালো থাকে না। চুলায় জ্বাল দেওয়ার পর ডাল খোলা অবস্থায় ফ্যানের নিচে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে জালি দিয়ে ঢেকে রাখার পরও ফ্যানের নিচে রাখতে পারলে ভালো হয়।* মাছ-মাংস বা তরকারি দুই বেলার জন্য রান্না করা হলে এক বেলার খাবারটুকু আলাদা বক্সে উঠিয়ে রাখুন। খোলা অবস্থায় ফ্যানের নিচে রেখে ঠান্ডা করুন। এরপর একটি স্টিলের পাত্রে পানি নিয়ে সেই পাত্রের ওপর বাক্সটি রেখে দিন। বাক্সের ওপর জালি দিয়ে ঢেকে রাখুন। এ ক্ষেত্রেও ফ্যান চালিয়ে রাখা ভালো।* দুধের তৈরি খাবার পরিবেশনের পর চামচ সরিয়ে রেখে আবার চুলায় জ্বাল দিয়ে নিন। এরপর ফ্যানের নিচে ঠান্ডা করে স্টিলের পাত্রে পানি নিয়ে পানির ওপর বাক্সে করে খাবারটুকু রাখুন। বাক্সটি জালি দিয়ে ঢেকে ফ্যানের নিচে রাখতে পারেন।* শুকনো মিষ্টি জাতীয় খাবার এয়ারটাইট বাক্সে রাখলেই বেশ কিছুদিন ভালো থাকে।* এক বেলার খাবারের খানিকটা বেঁচে গেলে খাবারের পাত্র থেকে চামচ সরিয়ে ফেলুন। চুলায় ২-১ বার ফুটিয়ে ভালোভাবে গরম করে ফ্যানের নিচে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হলে জালি দিয়ে ঢেকে ফ্যানের নিচে রাখা ভালো।* ভর্তা জাতীয় খাবার, যেগুলোতে কাঁচা পেঁয়াজ বা কাঁচা রসুন দেওয়া থাকে, সেগুলো অন্য বেলার জন্য রেখে দিলে সাধারণত নষ্ট হয়ে যায়।
215,214
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০৬
২৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০৭
পঞ্চগড়,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
রংপুর বিভাগীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1069457
পঞ্চম রংপুর বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা গতকাল শনিবার পঞ্চগড় সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর বিভাগীয় বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক শিরিন আখতার গতকাল সকালে ওই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অমল কৃষ্ণ মন্ডল। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিনু শীল, রংপুরের ডিসি রাহাত আনোয়ার, নীলফামারীর ডিসি জাকীর হোসেন, কুড়িগ্রামের ডিসি নুরুল আমিন, লালমনিরহাটের ডিসি আলাউদ্দিন খান ও ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি আবদুল আওয়াল উপস্থিত ছিলেন।৪১টি ইভেন্টে রংপুর বিভাগের আট জেলা ও এক মহানগর থেকে প্রায় তিন শ সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের সন্তানেরা অংশ নেন। অতিথিরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করলে তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ হয়।
288,065
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) ও দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ মার্চ ২০১৫, ০০:২৩
১৪ মার্চ ২০১৫, ০১:২৬
আক্কেলপুর,জয়পুরহাট,রংপুর বিভাগ
0
ক্ষুব্ধ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব দুই কর্মকর্তাকে তিরস্কার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/476266
‘ঠিকাদারের কাছ থেকে কত টাকা পারসেনটেজ পেয়েছেন? এই অপদার্থ উপজেলা প্রকৌশলীকে সরিয়ে দিন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।’মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান গতকাল শুক্রবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করে এসব কথা বলেছেন। তিনি ভবন নির্মাণকাজের গুণগত মান দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে নির্মাণকাজের তদারকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দুই প্রকৌশলীকে ভর্ৎসনাও করেন।এম এ হান্নান সকাল ১০টার দিকে আক্কেলপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম, জয়পুরহাটের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী নাইমা নাজনীন, জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার আমজাদ হোসেন, আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মো. শাহনেওয়াজ, উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নবীবুর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার সারোয়ার হোসেন প্রমুখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এম এ হান্নান নির্মাণাধীন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। তিনি নির্মাণাধীন তিনতলাবিশিষ্ট এই ভবনের প্রতিটি ইউনিটের দোকানঘর ও বাথরুম সুচারুভাবে দেখেন। তিনি ভবনটির নির্মাণে ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।পরিদর্শন শেষে ভবনের নিচতলায় অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধাদের এম এ হান্নান বলেন, ‘আপনাদের বাড়িতে হলে এ রকম কাজ করাতেন? আপনারা কাজের খোঁজখবর নেননি কেন?’ এরপর তিনি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভবনের ত্রুটি-বিচ্যুতি দ্রুত সারানোর নির্দেশ দেন।ভবন নির্মাণকাজের তদারকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ভবন নির্মাণকাজের কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। এতে সচিব ক্ষুব্ধ হয়েছেন।গোলাম মো. শাহনেওয়াজ বলেন, সচিব মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি ভবন নির্মাণকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে তিরস্কারও করেছেন।উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভবন নির্মিত হচ্ছে। চারতলা ভবনের তিনতলা পর্যন্ত কাজ হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। নাফিস এন্টারপ্রাইজ নামে সান্তাহারের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে।মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ার কাহালু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন । এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মমিন মজিবুল হক, বগুড়ার জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নাইম উদ্দিন মিয়া, কাহালুর ইউএনও মোছা. তাছলিমা খাতুন, শিবগঞ্জের ইউএনও রবিউল ইসলাম, কাহালু উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ চলছে।
123,029
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জুলাই ২০১৩, ০২:৩০
১৮ জুলাই ২০১৩, ০২:৩১
সরকার
0
তথ্য মন্ত্রণালয়কে নিহতদের তালিকা দেয়নি অধিকার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/25838
হেফাজতে ইসলামের গত ৫ মের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার অভিযানে ‘নিহতদের’ নাম-ঠিকানা তথ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়নি মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। বরং তথ্যমন্ত্রী বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে তারা বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হলে সেই কমিশনের কাছে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হস্তান্তর করা হবে। গত ১০ জুন অধিকারের প্রকাশিত এক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয় অধিকারের কাছে ওই ৬১ জনের নাম-ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। ওই চিঠির জবাবে গতকাল বুধবার অধিকারের দেওয়া ব্যাখ্যায় কমিশন গঠনের কথা বলা হয়। তবে ওই ব্যাখ্যাসংবলিত চিঠির সঙ্গে অধিকার তাদের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনটি তথ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ে ডাকযোগে ব্যাখ্যা পাঠায় অধিকার। সংগঠনের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের সই করা ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়, ভিকটিম ও সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনো আইন দেশে নেই। তাই ভিকটিমদের নিরাপত্তা বিধান তাদের কর্তব্য। সেই বিবেচনায় নিহতদের তালিকা দেওয়া যাচ্ছে না।জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব শহীদুল হক ভূঁঞা গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল পর্যন্ত তাঁরা অধিকারের ব্যাখ্যাসংবলিত চিঠি পাননি।
3,291
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
entertainment
বিনোদন
১৫ মে ২০১৯, ১২:৪২
১৫ মে ২০১৯, ১২:৪৪
চলচ্চিত্র
null
শেষ বৈঠকে অনুদান পেলেন শমী কায়সার
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1594009
চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারের অনুদান এবার শুরু থেকেই নানা কারণে আলোচনায়। শুরুতে আলোচনা ছিল একটি চলচ্চিত্রকে অনুদান বরাদ্দ না দেওয়া নিয়ে; শেষে আবার আলোচনায় এসেছে নতুন আরেকটি চলচ্চিত্রকে অনুদান বরাদ্দ দিয়ে। গতকাল মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রদেয় অনুদানের বিষয়ে শেষ সভায় কমিটির সব চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব যোগ দিয়ে চলচ্চিত্র অনুদান তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। এতে আগের আটটি চলচ্চিত্রের সঙ্গে অভিনেত্রী শমী কায়সার প্রস্তাবিত ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রটিও অনুদান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল তথ্যসচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, মতিন রহমান, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান উল আলম অনুদান বিষয়ে শেষ সভায় বসেন। তাঁদের সর্বসম্মতিতে মোট নয়টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান চূড়ান্ত করা হয়েছে।এতে করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া পূর্ণদৈর্ঘ্য নয়টি চলচ্চিত্র হলো সাধারণ শাখায় মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরামের ‘বিধবাদের কথা’, কাজী মাসুদের ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, লাকী ইনামের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, সারাহ বেগম কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ ও শমী কায়সারের ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা’; প্রামাণ্যচিত্র শাখায় হুমায়রা বিলকিসের ‘বিলকিস এবং বিলকিস’, পূরবী মতিনের ‘মেলাঘর’ এবং শিশুতোষ শাখায় আবু রায়হান মো. জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’।এর মধ্যে সাধারণ শাখায় শমী কায়সারের ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা’, মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরামের ‘বিধবাদের কথা’ এবং শিশুতোষ শাখায় আবু রায়হান মো. জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ ছবির জন্য প্রত্যেক প্রযোজক পাবেন ৬০ লাখ টাকা করে। আর কাজী মাসুদের ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, লাকী ইনামের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, সারাহ বেগম কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ পাবে ৫০ লাখ টাকা করে। প্রামাণ্যচিত্র শাখার দুটি চলচ্চিত্র বানাতে প্রত্যেক প্রযোজক পাবেন ৩০ লাখ টাকা করে। এ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলো জান্নাতুল ফেরদৌস আইভির ‘খিজিরপুরের মেসি’, জাহিদ সুলতানের ‘মিঠুর একাত্তর যাত্রা’, মো. নাজমুল হাসানের ‘রুপালি কথা’, ফারাশাত রিজওয়ানের ‘শেকল ভাঙার গান’ ও উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলের ‘ময়না’। এ চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণের জন্য প্রত্যেক প্রযোজক ১০ লাখ টাকা করে পাবেন।চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালায় বলা আছে, অনুদানের প্রথম চেক প্রাপ্তির নয় মাসের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হবে। চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালার প্রথম শর্তই হচ্ছে অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণকাজ অনুদানের প্রথম চেক প্রাপ্তির নয় মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনুরোধ সাপেক্ষে পরিচালক ওই সময় কিছুটা বৃদ্ধি করতে পারেন।চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রধানের উদ্দেশ্যে এ অনুদান চালু করেছে বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের প্রথা চালু হয়। সে বছর অনুদান পাওয়া মসিহ্উদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলীর ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ ও বাদল রহমানের ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ খুব আলোচিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত নিয়মিতভাবে চলচ্চিত্রে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। তবে এই বছরগুলোয় অনুদানের চলচ্চিত্র নিয়ে গড়িমসি করতে দেখা গেছে। চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান নিয়ে বছরের পর বছর পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু অনেক ছবি শেষ হচ্ছে না। প্রতি অর্থবছরেই এমন ঘটনা ঘটছে। গত এক দশকে সরকারি অনুদান পাওয়া ২৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি মুক্তি পায়নি। এ কারণে এসব ছবির জন্য বরাদ্দ টাকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
402,087
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ আগস্ট ২০১৪, ০০:৫৪
১০ আগস্ট ২০১৪, ০০:৫৫
কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার
0
মাদকসেবীদের হাতে খুন হন চিকিৎসক হাসিবুল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/287041
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. হাসিবুল হক (৩৭) দুজন মাদকসেবীর হাতে খুন হন। ঘটনার চার মাস পর গত মঙ্গলবার ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ আফছাদুল হক নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা এবং গত বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।চলতি বছরের ৫ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক ভবন ‘মেঘনা’র নিচতলার একটি কক্ষ থেকে হাসিবুল হকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, হাসিবুলের লাশ উদ্ধারের পর কোতোয়ালি মডেল থানায় হাসপাতালের পরিচালক হাবিব আবদুল্লাহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) টুটুল চক্রবর্তী ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন ডিবি পুলিশকে। ১৫ দিন আগে পুলিশ নগরের টমছমিব্রজ এলাকার এক টোকাইয়ের ঘর থেকে চিকিৎসক হাসিবুলের মুঠোফোন উদ্ধার করে। ওই মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার বিকেলে আফছাদুলকে সদর দক্ষিণ উপজেলার দৈয়ারা গ্রাম থেকে আটক করা হয়। ওই দিন রাতেই ডিবির কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন আফছাদুল।আফছাদুল পুলিশকে জানান, ৩ এপ্রিল কুমিল্লার বিভিন্ন স্পটে আফছাদুল ও তাঁর এক বন্ধু এবং চিকিৎসক হাসিবুল মাদক সেবন করেন। বিকেলে তাঁরা হাসিবুলের কক্ষে ইয়াবা সেবন করেন। এরপর আফছাদুল ও তাঁর বন্ধু বাড়ি ফিরে যান। রাত ১১টার দিকে আফছাদুলের বন্ধু তাঁকে আবারও চিকিৎসক হাসিবুলের কোয়ার্টারে ডেকে নেন। রাত ১২টার দিকে মাদক সেবনের সময় হাসিবুলের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে হাসিবুল খাট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। তাঁর মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এরপর তাঁরা হাসিবুলকে খাটের মধ্যে শুইয়ে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন এবং তাঁর মুঠোফোনটি নিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেন। পরে তাঁরা ওই মুঠোফোনটি নগরের রামমালা সড়ক এলাকার একটি নালায় ফেলে দেন।গত বুধবার দুপুরে আফছাদুলকে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সফিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি হাসিবুলের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।হাসিবুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁর বাড়ি পাবনা জেলায়। তিনি ২৪তম বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১২ সালের ১৩ জুন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন তিনি। কর্মস্থলে হাসিবুল অনিয়মিত ছিলেন। প্রেমে ব্যর্থতা ও পারিবারিক জীবনে অশান্তি থাকায় তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।এসপি টুটুল চক্রবর্তী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে দুজন অংশ নেয়। আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। অন্যজনকে খোঁজা হচ্ছে।’
83,914
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
৩০ জুন ২০১৬, ১২:০৬
৩০ জুন ২০১৬, ১২:২০
আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
‘ঈশ্বরের অমূল্য উপহারটির যত্ন নিক আর্জেন্টিনা’
http://www.prothom-alo.com/sports/article/904126
অর্থনৈতিক শক্তির দিক দিয়ে তারা বিশ্বের প্রথম সারিতে নেই, নেই সামরিক শক্তিতেও। হলিউড-বলিউডের মতো প্রভাবশালী মাধ্যমও নেই তাদের। আর্জেন্টিনার আছে ফুটবল, গর্বের ফুটবল। এখনো ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে আকাশি-নীলরাই আছে চূড়ায়! আর্জেন্টিনা যদি পরিচিত হয় ফুটবল দিয়ে, তবে এই মুহূর্তে সেটির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন লিওনেল মেসি!একের পর এক ব্যর্থতার যন্ত্রণা সইতে না পেরে কোপা আমেরিকার ফাইনালের পরই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। তাঁর বিদায়ে হাহাকার, তোলপাড় তৈরি হয়েছে বিশ্ব ফুটবলে; নিজের দেশ আর্জেন্টিনায় তো অবশ্যই। এ কারণে আমজনতা থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের আকুতি—‘ফিরে এসো মেসি।’ মেসিকে সিদ্ধান্তটা বদলানোর অনুরোধ করে টুইট করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও মাকরি। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মেসিকে আগলে রাখার কথাই বললেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান, সে আমাদের জীবনের অন্যতম তৃপ্তি। আমাদের মতো ফুটবলপ্রিয় দেশে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে পাওয়াটা ঈশ্বরের উপহার। ঈশ্বরের অমূল্য এই উপহারকে আমাদের যত্ন নিতেই হবে।’অবসর ভেঙে ফেরার অনুরোধ করে এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট নিজেই মেসিকে ফোন দিয়েছেন। কোনো সমালোচনায় কান না দেওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন। মানসিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে মেসিকে অনুপ্রাণিত করেছেন মাকরি, ‘তার সঙ্গে কথা বলে অভিনন্দন জানিয়েছি। বলেছি, দল অসাধারণ এক টুর্নামেন্ট খেলেছে।’চারদিকে এত অনুরোধ, এত হাহাকার—মেসি কানে তুললে তো! আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মুখে যে তালা। এএফপি।
237,013
-1
economy
অর্থনীতি
১৫ জুলাই ২০১৬, ০০:০২
১৫ জুলাই ২০১৬, ০০:৩৪
খবর
0
এক্সিম ব্যাংকের ১২% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
http://www.prothom-alo.com/economy/article/914440
ঢাকার রাওয়া কনভেনশন হলে গতকাল বৃহস্পতিবার এক্সিম ব্যাংকের ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। সভায় সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষিত স্থিতিপত্র ও লাভ-লোকসান হিসাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে তা গ্রহণ করা হয় এবং ১২% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
240,391
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৪
১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৫:৩১
বাণিজ্য
0
আবাসন খাত নতুন সংকটে: রিহ্যাব
http://www.prothom-alo.com/economy/article/94657
আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন রিহ্যাব আয়োজিত গত বছরের শীতকালীন মেলায় ৬০০ কোটি টাকার ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছিল। এ বছর সে মেলাই হচ্ছে না। রাজনৈতিক অস্থিরতায় মেলা পিছিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি। মেলা হওয়ার কথা ছিল ১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বর।রিহ্যাবের দাবি, রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত এক বছরে দেশে তৈরি ফ্ল্যাটের বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। আবাসন ব্যবসায়ীদের বেচাবিক্রি ও মূল্য আদায় এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্যবসায়ীরা ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। ক্রেতারাও এখন আর নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। ফলে আবাসন খাত নতুন করে সংকটে পড়েছে।সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোকাররম হোসেন খান বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যাংকে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের ১৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে ঋণ রয়েছে। ফ্ল্যাট বিক্রি কমে গেছে। গত দুই সপ্তাহে রডের দাম প্রতি টনে ছয় হাজার টাকা বেড়েছে। এ টাকা কীভাবে শোধ করব?’দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আবাসন খাতের দুর্দশা তুলে ধরতে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিহ্যাব। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব নেতারা সব রাজনৈতিক দলকে সমঝোতায় এসে শান্তিপূর্ণ সমাধান করার আহ্বানও জানান। একই সঙ্গে ১৫ ডিসেম্বর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত সাদা পতাকা হাতে নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেন তাঁরা।মোকাররম হোসেন জানান, আবাসন খাত নির্মাণসংক্রান্ত পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারছে না আবার বিক্রিও হচ্ছে না। ফলে দুই দিকেই ক্ষতিতে পড়েছে আবাসন খাত। তিনি জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য যদি এমন রাজনৈতিক অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে সব খাতই এ নাজুক পরিস্থিতিতে পড়বে।লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সময়মতো নির্মাণসামগ্রী আনতে না পারায় নির্মাণকাজ বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে পরবর্তী সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে নানা সমস্যা তৈরি হবে। আবাসন ব্যবসায়ীরা চুক্তির শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে আইনি জটিলতায় পড়বেন। রাজনৈতিক অস্থিরতায় আবাসন ব্যবসায়ীদের নতুন প্রকল্প গ্রহণ একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। এর সঙ্গে জড়িত বিশাল শ্রমিকগোষ্ঠীও বেকার হয়ে পড়বে।সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশের মানুষ এ ধরনের সহিংস রাজনীতি কোনোভাবেই পছন্দ করে না। আমাদের অনুভূতি যদি রাজনৈতিক দলগুলো না বোঝে, তাহলে কঠোর কর্মসূচির দিকে আমাদের যেতে হবে। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো গত্যন্তর নেই।’রাতের বেলায় অন্তত খাদ্য এবং পচনশীল পণ্য পরিবহন করতে দেওয়ার জন্য বিরোধী দলকে আহ্বান জানান হেলাল উদ্দিন।সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
34,642
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জুলাই ২০১৪, ০৮:২২
১০ জুলাই ২০১৪, ০৯:০৯
-1
0
রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশসহ নিহত ৩
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/263848
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এক সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন হাইওয়ে পুলিশের সদস্য রুবেল হোসেন এবং দুই যাত্রী দেলোয়ার হোসেন ও হারুন শেখ। রুবেলের বাড়ি মেহেরপুর। দুই যাত্রীর বাড়ি বাগেরহাটে।পাংশা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন সরকার জানান, উপজেলার নিমতলা এলাকায় দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কে দিগন্ত পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।ঘটনাস্থলে বাসের দুই যাত্রী নিহত হন। হাইওয়ে পুলিশের সদস্য রুবেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর চারটার দিকে সেখানে মারা যান তিনি।
76,433
-1
international
আন্তর্জাতিক
১৩ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৬
১৩ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৬
যুক্তরাজ্য
0
সাঁতরেই গোটা যুক্তরাজ্য পাড়ি!
http://www.prothom-alo.com/international/article/72403
যুক্তরাজ্যের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত সাঁতরে পাড়ি দিলেন অভিযাত্রী শ্যন কনওয়ে। তিনি এ সাফল্য পাওয়া প্রথম ব্যক্তি। এতে সময় লেগেছে চার মাসেরও কিছু বেশি, যা বিশেষজ্ঞদের মতে তুলনামূলকভাবে কমই।কর্নওয়াল থেকে গত ৩০ জুন পশ্চিম উপকূল ধরে সাঁতার শুরু করেন ৩২ বছর বয়সী কনওয়ে। তাঁর লক্ষ্য ছিল যুক্তরাজ্যের মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে উত্তর প্রান্ত জন ও’গ্রোটস। অবশেষে তিনি গত সোমবার সেখানে পৌঁছান।প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ হেঁটে অথবা সাইকেলে দক্ষিণ প্রান্তের ল্যান্ডস এন্ড থেকে জন ও’গ্রোটস পর্যন্ত স্থলপথে মোট এক হাজার ৪০৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে।জিম্বাবুয়েতে জন্মগ্রহণকারী কনওয়ে বর্তমানে দক্ষিণ ইংল্যান্ডে বাস করেন। তিনি ওই সাঁতার অভিযানের মাধ্যমে যুদ্ধশিশুদের সহায়তার জন্য হাজার হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করেছেন। অভিযানে তিনি প্রতিদিন প্রায় ১০ মাইল সাঁতার কাটতেন। ইয়ট বা উপকূলের কোনো আশ্রয়ে রাত কাটাতেন তিনি।এক সাক্ষাৎকারে কনওয়ে বলেন, দুই মাসে অভিযান শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও খারাপ আবহাওয়া ও বড় বড় ঢেউয়ের কারণে তাঁর দেরি হয়েছে। শুরুতে তাঁকে অনেকে বলেছিল, এ অভিযান সম্ভব হবে না। তিনি মারাও যেতে পারেন। তবে তিনি সবার ধারণা ভুল প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। গার্ডিয়ান।
27,788
শরিফুল হাসান ও আসিফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ মে ২০১৪, ০২:৫১
১০ মে ২০১৪, ০২:৫২
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ
null
নারায়ণগঞ্জে আতঙ্ক কাটেনি, র‌্যাবে নতুন অধিনায়ক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/212623
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার পর র‌্যাব, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গণবদলি করা হলেও জেলার সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কাটেনি।গত ১০ দিনে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব-১১-এর অধিনায়কসহ তিন কর্মকর্তা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তাসহ অন্তত ৯১ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সব কর্মকর্তা রয়েছেন।কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনের অপহরণের ঘটনায় র‌্যাবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানা ছয় কোটি টাকা নিয়ে এই অপহরণ ও খুন করেছেন। এই অভিযোগের পর গত মঙ্গলবার তাঁদের অবসরে পাঠানো হয়।র‌্যাব-১১-তে নতুন অধিনায়ক হিসেবে গতকাল শুক্রবার যোগ দিয়েছেন লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান। তিনি এর আগে রাজশাহীতে র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক ছিলেন।দায়িত্ব নেওয়ার পর দুপুরে র‌্যাব-১১-এর কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকেরা বক্তব্য জানতে চাইলে আনোয়ার লতিফ খান আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনাই হবে তাঁর প্রধান কাজ।এদিকে গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জে নূর হোসেনের আস্তানা থেকে তিন হাজার বোতল ফেনসিডিল, পাঁচটি রামদা এবং বিপুল পরিমাণ মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীকে তিনি স্বস্তি দিতে চান। সাত খুনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় কী, পুলিশ কিছুই বিবেচনা করবে না।নারায়ণগঞ্জের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা যেসব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে, তাঁদের কারও সঙ্গে নূর হোসেন বা সন্ত্রাসীদের আর্থিক বা অন্য কোনো যোগসাজশ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন। কেবল র‌্যাব নয়, সাত খুনের ঘটনায় যদি অন্য কারও সম্পৃক্ততা বা ব্যর্থতা থাকে, সেটিও খতিয়ে দেখার দাবি জানান তাঁরা।নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় কথা হয় কলেজছাত্র রাইসুল ইসলাম, বেসরকারি চাকরিজীবী আসাদুজ্জামান, ব্যবসায়ী সাইফুল রশিদসহ অনেকের সঙ্গে। তাঁরা প্রত্যেকেই জানান, তাঁদের আতঙ্ক কাটেনি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহিলা পরিষদের সমাবেশেও সবাই বলেছেন, তাঁরা আতঙ্কিত।একই কথা বললেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীও। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাত খুনের পর নারায়ণগঞ্জের মানুষ আতঙ্কে আছে। তাদের স্বস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলেই তাঁদের বদলি করা হয়েছে। নতুন যাঁরা এসেছেন, তাঁদের কাছে নারায়ণগঞ্জের মানুষের অনেক প্রত্যাশা। আশা করি, তাঁরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবেন।’গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর দুই দিন পর জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়াল, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদসহ তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল মতিন ও ফতুল্লা থানার ওসি আক্তার হোসেনকে বদলি করা হয় বৃহস্পতিবার।বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ডিবির ওসি মাহাবুবুর রহমান এবং ওসি (তদন্ত) আবদুল আউয়ালকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়। আউয়াল সাত খুনের মামলার তদন্ত পেয়েছিলেন। কিন্তু নজরুলের পরিবার অভিযোগ করে, তিনি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর পক্ষে সুষ্ঠুভাবে মামলার তদন্ত করা সম্ভব নয়। নারায়ণগঞ্জে যোগ দেওয়া ডিবির নতুন ওসি মামুনুর রশিদকে এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।এরপর বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের ৮১ জন কর্মকর্তাকে একযোগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলি করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন পরিদর্শক, ৪০ জন উপপরিদর্শক (এসআই) এবং ৩৯ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রয়েছেন। তাঁরা ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং ডিবিতে কর্মরত ছিলেন। এসব পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকা রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বদলি করা হয়।জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেছেন, প্রশাসনিক কারণেই এই বদলি করা হয়েছে। তবে জেলা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ পুলিশের সঙ্গেই নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠতা ছিল এবং অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এ কারণেই নারায়ণগঞ্জ পুলিশকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।জানতে চাইলে জেলার সাবেক পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ করেছেন, তাঁরা স্বজনদের হারিয়েছেন। কিন্তু আমরা অবহেলা করিনি।’
72,053
সৌরভ দাশ
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ আগস্ট ২০১৭, ২০:৫১
১২ আগস্ট ২০১৭, ২০:৫৪
ছবির গল্প
0
ইলিশ ধরার প্রস্তুতি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1286551
এখন ইলিশ ধরার মৌসুম। ইলিশ ধরে সমুদ্র থেকে ফিরেছেন জেলেরা। মাছ বিক্রিও করেছেন। এখন আবার সমুদ্রে যাওয়ার পালা। কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়া বেঁকে বসেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেদের পাড়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই ফাঁকে জাল মেরামত করে নিচ্ছেন তাঁরা। বৃষ্টির মধ্যেই চলছে জাল মেরামতের কাজ। ছবিগুলো আজ শনিবার চট্টগ্রাম নগরের ফিশারিঘাট এলাকা থেকে তোলা।
332,211
-1
entertainment
বিনোদন
১১ মার্চ ২০১৫, ০০:০৬
১১ মার্চ ২০১৫, ০০:৪৮
সংস্কৃতি
0
আইটিআই নাট্যোৎসব কাল থেকে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/473380
ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ কেন্দ্র ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী যৌথভাবে আয়োজন করছে ১০ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ‘দ্বিতীয় ঢাকা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব’ শিরোনামের এ উৎসব শুরু হবে। চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত।মঙ্গলবার সকালে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলন। এতে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, উৎসব উদ্যাপন পর্ষদের পরিচালক দেবপ্রসাদ দেবনাথ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব আকতারুজ্জামান, মিনু হক, আহমেদ গিয়াস প্রমুখ।রামেন্দু মজুমদার জানান, এবারের উৎসবে বিদেশি পাঁচটি নাটকসহ ২৭টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। উৎসবের অংশ হিসেবে জাতীয় নাট্যশালা লবিতে প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বাবুল বিশ্বাসের পরিচালনায় বিশ্ববিখ্যাত নাট্যকারদের প্রতিকৃতি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ‘সহিংসতার বিরুদ্ধে নাটক’ এবং ‘নাটক: শিল্পের প্রত্যুত্থান’ শিরোনামে নাট্যবিষয়ক দুটি সংলাপের আয়োজন করা হবে উৎসবে। প্রতিদিনের প্রদর্শনীগুলো জাতীয় নাট্যশালার মূল হল, পরীক্ষণ থিয়েটার হল এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হবে।বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় এ উৎসব উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
122,237
মশিউল আলম
opinion
মতামত
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০৪
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৩:৫৭
মতামত,সাক্ষাৎকার,মশিউল আলম,লেখকের কলাম
null
আইসিটি আইনটি ঢেলে সাজানো দরকার
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/147865
ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী। তাঁর জন্ম চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে, ১৯৭৪ সালে। চট্টগ্রাম জামিয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করার পর তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে লিংকনস ইন থেকে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি লাভের পর তিনি ঢাকায় আইন পেশা শুরু করেন; ১৯৯৯ সালে তিনি হাইকোর্টের সনদ লাভ করেন এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি আইনের খসড়া প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন আইনের খসড়া প্রণয়ন করেন। তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানিবিষয়ক আইনের একজন বিশেষজ্ঞ।প্রথম আলো  বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনকে (আইসিটি আইন) একটা কালাকানুন বলা হচ্ছে। আইনটা আসলে কী?তানজীব উল আলম  আইসিটি আইনের ৫৭ থেকে ৫৯ পর্যন্ত যে ধারাগুলো রয়েছে, মূলত সেগুলোর জন্যই এ আইনের সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু এই ধারাগুলো পুরো আইনটির একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। আইসিটি আইনের মূল উদ্দেশ্য খুবই ভালো এবং আমি মনে করি যোগাযোগপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে একটা আইনগত শূন্যতা ছিল, এই আইন প্রণয়নের ফলে সেই শূন্যতা পূরণ হয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাক্ষরের একটা স্বীকৃতি এসেছে, ইন্টারনেটভিত্তিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর সবচেয়ে বড় সুফল আমরা দেখতে পাই ব্যাংকিং খাতে। এখন কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকই তাদের টাকার হিসাব লেজার বুকের মাধ্যমে করে না, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে করে। এই যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে হিসাবটা রাখা হচ্ছে, এটার আইনগত স্বীকৃতি কিন্তু আইসিটি আইনের মাধ্যমে এসেছে। সুতরাং আইনটাকে সেই অর্থে খারাপ বলা যাবে না, বরং বাংলাদেশে এই ইলেকট্রনিক যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের যুগে একটা বড় অবদান রেখেছে।প্রথম আলো  তাহলে এ আইন নিয়ে আপত্তির কারণ কী? কেন এটির সমালোচনা করা হচ্ছে?তানজীব উল আলম  আইনটি যখন প্রণয়ন করা হয়, তখন এর একটা অংশের উদ্দেশ্য ছিল একরকম, পরবর্তী সময়ে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে অনেক বিষয় চলে এসেছে, যেগুলোতে আইনটির এই বিশেষ কয়েকটি বিধানের অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।প্রথম আলো  সেগুলো কী?তানজীব উল আলম  যেটা নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সেটা হলো, ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা, উসকানিমূলক, মানহানিকর তথ্য, সংবাদ, ছবি ইত্যাদি প্রচারের দায়ে যে শাস্তির বিধান করা হয়েছে, সেটা। ২০০৬ সালে মূল যে আইনটা করা হয়েছে, সেটির কয়েকটি বিধানের ধারাবাহিকতায় এই বিধানগুলো এসেছে। যেমন, কেউ যদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে, বিশেষত কোনো ওয়েবসাইট হ্যাকিং করে, কিংবা কারও ওয়েবসাইটে ঢুকে কারও বদনাম করে, মানহানিকর কিছু প্রকাশ করে, তাহলে যে অপরাধ ঘটে, তা বন্ধ করার জন্য ওই আইনটা করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে যখন মূল আইনটি করা হয়, তখন কিন্তু ফেসবুক বা এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে কিছু ছিল না। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে এই বিধানের অনেকটা সেকেলে হয়ে গেছে বেশ দ্রুতই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরাধের বিচারের জন্য আলাদা বিধান করে আলাদা আইন করা যেত। কিন্তু সেটা না করে এই আইনটাকে ঢালাওভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষের মতপ্রকাশের অধিকারটাকে দমন করার জন্য। যদিও আইনটার আদি উদ্দেশ্য অনেক ভালো ছিল এবং বর্তমানেও আইনটা অনেকটুকুই আমাদের সাহায্য করছে। কিন্তু এই কয়েকটি বিধানের অপব্যবহারের ফলে লোকে মনে করছে যে পুরো আইনটাই আসলে কালাকানুন।প্রথম আলো  কিন্তু এই আইনের ৫৭ থেকে ৫৯ ধারা পর্যন্ত বিধানগুলোর কারণে তো নাগরিকদের কয়েকটি মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। যেমন মতপ্রকাশের ও সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা...তানজীব উল আলম  বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলা যায়, আইনটা যে অপব্যবহারের কয়েকটা দৃষ্টান্ত আমরা দেখেছি, তাতে সাধারণ মানুষের মনে হতে পারে যে এই পরিস্থিতিগুলোতে এই আইনের এমন ব্যবহার আসলে কাম্য ছিল না। বিশেষ করে ৫৭ ধারার কথা যদি ধরা যায়, সেখানে লেখা আছে, ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা, অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশসংক্রান্ত অপরাধ। পুরো বিধানটা যদি আপনি পড়েন, তাহলে দেখবেন, যে পারস্পেক্টিভ থেকে এ বিধানটা করা হয়েছে, সেখানে কিন্তু পত্রিকাগুলোর সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে এই আইনের অপব্যবহার হবে—এই বিষয়টা পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী আসে না। যে পরিপ্রেক্ষিত মনে রেখে বিধানটা করা হয়েছিল, সেটা হলো কেউ যদি ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো অপরাধ বা কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যবস্তু করে কোনো পদক্ষেপ নেয়।প্রথম আলো  আপনি কি সাইবার অপরাধের কথা বলছেন, যেটার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের পেশাদারি কাজের সম্পর্ক নেই?তানজীব উল আলম  ঠিক। জিনিসটা আসলে ছিল সাইবার অপরাধেরই অংশ হিসেবে। কিন্তু এখন সংবাদমাধ্যমের সংবাদ বা ছবি প্রকাশকে সাইবার অপরাধের আওতায় নিয়ে আসাকে আমি মনে করি আমাদের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। কারণ, এই অনুচ্ছেদে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।প্রথম আলো  কিন্তু বাস্তবে অনেক সাইবার অপরাধ ঘটছে। যাঁরা এসব অপরাধের শিকার হচ্ছেন, তাঁরা এখনো আইনি প্রতিকারের বিষয়টা ভালোভাবে জানেন না বলে হয়তো মামলা-মোকদ্দমা হচ্ছে না। কিন্তু ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন ফোরামে ব্যক্তি মানুষের সম্মানহানি, গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি, সামাজিক-সাম্প্রদায়িক উসকানিসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক আচরণ করা হচ্ছে। রামু বৌদ্ধপল্লিতে আক্রমণের ঘটনা একটা উদাহরণ। এসব অপরাধের আইনি প্রতিকারের উপায়ও তো থাকা দরকার।তানজীব উল আলম  হ্যাঁ, এ ধরনের অপরাধ আসলেই সংঘটিত হচ্ছে। এখন বিষয় হচ্ছে, এসব অপরাধ দমনের জন্য আমরা কী ধরনের আইন করব। এমন আইন করা তো ঠিক হয় না যাতে করে এসব অপরাধ দমন করতে গিয়ে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্বিত হয়। এই ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়। যেহেতু মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটা মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃত, তাই আইনটা এমনভাবে প্রণয়ন করা উচিত, যাতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া না হয়। আবার একই সঙ্গে কেউ যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চা করতে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন করে অপরাধ করে, তাহলে তার শাস্তিও অবশ্যই হওয়া উচিত।প্রথম আলো  এ দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে কীভাবে?তানজীব উল আলম  সেটাই তো প্রশ্ন। এই ভারসাম্য এভাবে রক্ষা করা যাবে যে এমন একটা আইন করা হলো, যাতে ন্যূনতম শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড, যেখানে অভিযুক্তের জামিন পাওয়ার বিধান থাকবে না, কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যতিরেকেই যেকোনো সময় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যাবে? তো ২০০৬ সালের আইনটিতে তিন-চার ধরনের সংশোধনী এনে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হলো, যা খুবই বিপজ্জনক। যারা অপরাধী তারা কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে কোনোভাবেই নিবৃত্ত হবে না। কারণ, তারা তো অপরাধী। কিন্তু বিধানটা আপনি এমনভাবে করলেন যে সাধারণ নাগরিকদের জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলো। তাহলে তো ভারসাম্যটা আসলে রক্ষা করা গেল না। ভারসাম্য হওয়া উচিত এ রকম যে যারা অপরাধী তারা তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি পাবে। ধরা যাক, আপনি ফেসবুকে এক ব্যক্তি সম্পর্কে একটা মিথ্যা খবর শেয়ার করলেন, আপনি জানেন না যে খবরটা মিথ্যা। এখন এই অপরাধে আপনাকে জামিন অযোগ্য হিসেবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা ঠিক?প্রথম আলো  শুধু তা-ই নয়, অপরাধ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে সাত বছর কারাদণ্ড হবে, এর চেয়ে কম শাস্তি দেওয়া যাবে না। এটা কী ধরনের আইন?তানজীব উল আলম  হ্যাঁ, এটা হচ্ছে এই আইনের সবচেয়ে অসাংবিধানিক অংশ। এখানে আইন সুনির্দিষ্ট করে বলে দিচ্ছে ন্যূনতম শাস্তি কী হবে, অপরাধের মাত্রা বিবেচনা না করেই। কারণ, আইনটিতে অপরাধের সংজ্ঞা এমন বিস্তৃতভাবে দেওয়া হয়েছে যে ফেসবুকে আপনার যেকোনো স্ট্যাটাসও আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, আপনার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়ে যেতে পারে।প্রথম আলো  তো এ ধরনের বিপজ্জনক কালাকানুন কী প্রক্রিয়ায় করা হলো?তানজীব উল আলম  আমার জানামতে, ২০০৬ সালের আইনটির সংশোধনী আনা হয়েছে খুবই তড়িঘড়ি করে। সে সময় পার্লামেন্ট বসছিল না, তখন একটা অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রথমে এই সংশোধনীটা আনা হয়। দুই সপ্তাহ পরেই আবার সংসদে সংশোধনীটা পাস করা হয়। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞসহ জনগণের ওয়াকিবহাল অংশের যে অংশগ্রহণ থাকা প্রয়োজন, এ ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। এটা ঠিক হয়নি। ২০০৬ সালের আইনটিই যথেষ্ট কড়া আইন ছিল, সেটাকে এ রকম বিপজ্জনক কালাকানুনের রূপ দেওয়া হয়েছে। এটা একটা সভ্য সমাজে কখনোই কাম্য হতে পারে না।প্রথম আলো  আপনি কি মনে করেন না, এই মুহূর্তে এই আইন সংশোধন করা উচিত?তানজীব উল আলম  আমি মনে করি আইসিটি আইনের অষ্টম অধ্যায় সম্পর্কে সমাজের বিভিন্ন অংশের মতামত নেওয়া উচিত এবং সাইবার জগতের বিভিন্ন অপরাধ আলাদা আলাদা করে সংজ্ঞায়িত করা উচিত। তারপর অপরাধের স্বরূপ ও মাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলাদা আলাদা শাস্তি নির্ধারণ করা উচিত। অর্থাৎ পুরো আইনটি আগাগোড়া ঢেলে সাজানো প্রয়োজন এবং সেই প্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।প্রথম আলো  আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।তানজীব উল আলম  আপনাকেও ধন্যবাদ।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মশিউল আলম
51,837
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১২ জানুয়ারি ২০১৮, ০৮:৪৬
১২ জানুয়ারি ২০১৮, ০৮:৪৮
-1
0
আজ টিভি পর্দায় দেখতে পারেন যে খেলা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1406771
এক নজরে দেখে নিন আজ টেলিভিশনের পর্দায় যে খেলাগুলো উপভোগ করবেন:বুন্দেসলিগালেভারকুসেন-বায়ার্ন (রাত ১-৩০ মি., স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২ ও সিলেক্ট এইচডি ২)লা লিগাগেটাফে-মালাগা (রাত ২টা, সনি টেন ২)নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান৩য় ওয়ানডে (আগামীকাল ভোর ৪টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ও সিলেক্ট এইচডি ১)টেনিসসিডনি ইন্টারন্যাশনাল (সকাল ৮টা ও বেলা ২টা, সনি ইএসপিএন)এনবিএএলএ লেকার্স-সান আন্তোনিও (সকাল ৯-৩০ মি., সনি টেন ১)সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিগোয়া-কেরালা (সকাল ১০-৩০ মি., স্টার স্পোর্টস ১)অন্ধ্র-হায়দরাবাদ (বেলা ২-৩০ মি., স্টার স্পোর্টস ১)বিগ ব্যাশ লিগরেনেগেডস-স্টারস (বেলা ২-৪০ মি., সনি সিক্স ও সনি সিক্স এইচডি)ইন্ডিয়ান সুপার লিগনর্থ ইস্ট-কলকাতা (রাত ৮-৩০ মি., স্টার স্পোর্টস ২)গলফইউরেশিয়া কাপ(সকাল ৬-৩০ মি., সনি টেন গলফ এইচডি)দক্ষিণ আফ্রিকা ওপেন(বেলা ২টা ও সন্ধ্যা ৬টা, সনি টেন গলফ এইচডি)প্রিমিয়ার ব্যাডমিন্টন লিগ(সন্ধ্যা ৭-২০ মি., স্টার স্পোর্টস ১)
351,201
এম রাশেদুল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ মে ২০১৭, ০১:৫৩
১৫ মে ২০১৭, ০১:৫৪
গোয়ালন্দ,রাজবাড়ী
0
পদ্মার ভাঙনের কবলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1180521
পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। গত দু-তিন সপ্তাহে দৌলতদিয়া ৪ নম্বর ঘাটের অনেকাংশ বিলীন হয়ে গেছে। আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে গত বছরের মতো এবারও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হতে পারে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়ার উপসহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, ফেরিঘাট রক্ষায় সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয় থেকে চারটি গুচ্ছে (প্যাকেজ) প্রায় আড়াই কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এরপর ৪ এপ্রিল থেকে ফেরিঘাটের ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এলাকায় বল্লি পাইলিং মারা ও বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এদিকে প্রস্তাবিত ১ নম্বর ফেরি ও লঞ্চঘাটের মাঝামাঝি স্থানে নতুন দুটি ফেরিঘাট নির্মাণ করতে পারছে না বিআইডব্লিউটিএ। সড়ক ও জনপথ (সওজ) এখনো সড়ক নির্মাণ না করায় ঘাট দুটি নির্মাণ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ২ থেকে ৪ নম্বর ঘাট পর্যন্ত এলাকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। অন্যথায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।গতকাল রোববার সকালে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএ ২ নম্বর ঘাটের পাশে মিড ওয়াটার লেভেলে ঘাট নির্মাণ করছে। পাশাপাশি ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে ৪ নম্বর ঘাটের কাছে ভাঙন আরও বেড়েছে। ঘাট এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র চলে গেছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম বলেন, ২ ও ৩ নম্বর ঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে বড় পুকুরের মতো গর্ত হয়েছে। ৪ নম্বর ঘাটে ভাঙন শুরু হয়েছে। ঘাটের সামনে থাকা চর ভেঙে পানির স্রোত সরাসরি ঘাটে আঘাত হানছে। এতে ঘাট ভেঙে যাচ্ছে।লঞ্চঘাট মালিক সমিতির প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী বলেন, ১ থেকে ৪ নম্বর ঘাট পর্যন্ত পাইলিং করে জিও ব্যাগ ফেললে ঘাটসহ চার-পাঁচ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষা পাবে।দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ফেরিঘাট সচল রাখার জন্য স্থায়ীভাবে মেরামত করা প্রয়োজন। নতুন ফেরিঘাটের প্রস্তাবিত রাস্তার ওপর অবস্থিত পরিবারগুলোকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসন করতে হবে। এ ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে ৪ নম্বর ঘাট রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা প্রয়োজন।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম নুরুল ইসলাম বলেন, দেবগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে মরা পদ্মায় বাঁধ দেওয়ায় ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাঁধ দেওয়ার আগে এভাবে ফেরিঘাট ভাঙেনি। তাই বাঁধটি অপসারণ করা প্রয়োজন।রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধর বলেন, আপাতত ফেরিঘাটে কাজ করার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। ফলে জিও ব্যাগ ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।সওজ রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত নতুন ফেরিঘাটের জন্য জমি বুঝে পেয়েছি, কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ওপর কিছু বাড়িঘর আছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি পরিবার আদালতে মামলা করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসা করে বাড়িঘরগুলো সরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। সমাধান হলেই দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু করা যাবে।’জেলা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেলের আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট সার্বক্ষণিক সচল রাখা শুধু একটি বিভাগের বিষয় নয়। এটি সবার সমন্বয়ের বিষয়। প্রস্তাবিত নতুন দুটি ফেরিঘাট নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয়েছে। আর দেবগ্রামের বাঁধের বিষয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
317,542
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৩:১৫
০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৩:২০
ঢালিউড
0
ফারিয়ার তেষট্টি সেকেন্ড!
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/733633
‘আশিকী’ ছবির পর আবারও বড়পর্দায় আসছেন ঢাকাই ছবির হালের আলোচিত অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। তাঁর এবারের ছবির নাম ‘হিরো ৪২০’। অবশ্য এ ছবিতে নুসরাত ফারিয়াকে দেখতে হলে দর্শকদের অপেক্ষা করতে হবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে মঙ্গলবার রাতে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে নুসরাত ফারিয়ার নতুন ছবিটির তেষট্টি সেকেন্ড ব্যাপ্তির একটি টিজার। এতে নুসরাত ফারিয়ার উপস্থিতি নজর কেড়েছে সবার। যৌথ প্রযোজনার ‘হিরো-৪২০’ ছবির এই টিজারটি প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। ‘হিরো ৪২০’ ছবির টিজারটিতে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ দৃশ্যেই দেখা গেছে নুসরাত ফারিয়াকে। কখনো সাদামাটা, কখনো চাকচিক্যময়, আবার কখনো বেশ রোমান্টিক উপস্থিতি ছিল তাঁর। টিজারে ফারিয়ার সঙ্গে এ ছবির নায়ক কলকাতার অভিনয়শিল্পী ওম ও রিয়া সেনও আছেন। ফারিয়া জানিয়েছেন, ছবির কাজে অংশ নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার কলকাতায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ছবির জন্য প্রয়োজনীয় ফটোশুট শেষে বুধবার সকালে দেশে ফিরেছেন।নুসরাত ফারিয়া আরও জানান, ছবির একটি গানের দৃশ্যধারণের কাজ এখনো বাকি আছে। এই অংশটির কাজ বাংলাদেশে করা হবে। এই গানটি ছাড়া ছবির বাকি সব দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে।‘হিরো ৪২০’ ছবিটি সম্পর্কে নুসরাত ফারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘গল্পটা খুবই মজার। পড়ে আমার দারুণ লেগেছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ভালো একটি ছবি হবে।’ ছবিতে তাঁর সহশিল্পী ওম প্রসঙ্গে ফারিয়া বলেন, ‘কলকাতার এখনকার সম্ভাবনাময় নায়কদের একজন ওম। সে খুব আকর্ষণীয় বটে। কিছুদিন আগে আমি তাঁর অভিনীত ‘‘অঙ্গার’’ ছবির কিছু দৃশ্য দেখেছি। আমার খুবই ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে, আমাদের জুটিটাও জমবে বেশ।’‘হিরো ৪২০’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও কলকাতার এস. কে মুভিজ। ছবিটি পরিচালনা করছেন সৈকত নাসির ও সুজিত মণ্ডল।
190,064
-1
sports
খেলা
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১৭
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:২৬
আন্তর্জাতিক ফুটবল,খেলা
0
মিটমাট
http://www.prothom-alo.com/sports/article/312619
অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার বিদায়টা একদমই মেনে নিতে পারছিলেন না। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, তাঁর হাতে ক্ষমতা থাকলে কখনোই ডি মারিয়াকে ছেড়ে দিতেন না। ইঙ্গিতটা স্পষ্টতই ক্লাবকর্তাদের দিকে। রোনালদো কথাটা রাগ করেই বলেছিলেন, কিন্তু একটু ক্ষোভও কি ছিল না সঙ্গে! রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ অবশ্য পরশুই দাবি করেছেন, রোনালদোর সঙ্গে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি হয়নি। মিটমাট যে হয়ে গেছে, সেটা বোঝা গেল কাল সিআর ‘সেভেনের’ ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে। রোনালদো দাবি করেছেন, তাঁর কথা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনোরকম ভুল-বোঝাবুঝি হয়নি। আসলেই তাই? গোলডটকম।
91,195
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:০৬
২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:০৮
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
এভাবে ভারতের জয় মানতে পারছেন না ইউনিসও
http://www.prothom-alo.com/sports/article/720439
ভাবনাটি একটু অন্যরকমই বটে। ওয়াকায় কিংবা লর্ডসে খেলা হচ্ছে কিন্তু পিচে নেই একটুকু বাউন্স কিংবা সুইং। অথবা মিরপুরে খেলা হচ্ছে কিন্তু বাউন্সারে বাউন্সারে নাভিশ্বাস উঠছে ব্যাটসম্যানদের। নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধা ক্রিকেটে বড় ভূমিকা পালন করে বলেই ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ কথাটা এত উচ্চারিত হয়। কিন্তু সম্প্রতি ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে এত কথা হচ্ছে, টস বাতিলের মতো যুগান্তকারী পরামর্শও আসছে। তাতে খোরাক জোগালেন ইউনিস খানও। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের মতে, এমন কিছু করা উচিত, সারা বিশ্বে উইকেট থাকবে একই রকম।​ ভিন্ন ধরনের কিছু নয়।দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। অথচ এর কদিন আগে ভারতকেই তাদেরই মাঠে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে। স্পিন স্বর্গ বানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেশ আয়েশ করে সিরিজ জিতে নিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। কিন্তু এ রকম একপেশে ম্যাচ জেতা দেখতে না কি মোটেও ভালো লাগেনি ইউনিসের।এ ধরনের একপেশে ম্যাচ ঠেকানোর জন্য আইসিসিকেই সতর্ক হতে বলছেন প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে টেস্টে দশ হাজার রানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এই ব্যাটসম্যান। কারও হয়তো মনে হতে পারে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাফল্যে ঈর্ষাকাতর হয়ে এসব বলছেন ইউনিস। কিন্তু ইউনিসের তাঁর ব্যাখ্যাতেই বোঝা যায়, টেস্টের ভবিষ্যৎ​ নিয়ে শঙ্কা থেকেই এমনটা বলছেন তিনি। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার সিরিজটি টেস্টের জন্য খুবই খারাপ বিজ্ঞাপন ছিল। ম্যাচের প্রথম দিন থেকে বল ঘুরছিল এই সিরিজে। এই ধরনের পিচ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজটাই নষ্ট করে দেয়।’এ প্রসঙ্গেই ইউনিস মনে করিয়ে দিলেন, ইদানীং অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মাঠগুলোতেও আগের মতো খুব বেশি বাউন্স কিংবা পেস দেখা যায় না। আগের চরিত্র হারিয়ে ফেলছে পিচগুলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচগুলো তো অনেক দিন ধরেই নিজের চরিত্র হারিয়ে বসেছে। এখন কেবল দক্ষিণ আফ্রিকা ও উপমহাদেশের উইকেটগুলোই নিজেদের চরিত্র বজায় রেখেছে।ইউনিসের মতে, আইসিসির উচিত এখন সব দেশের পিচই যেন একই ধরনের হয় সে দিকে গুরুত্ব আরোপ করা। তাহলেই স্বাগতিক দলগুলোর আধিপত্য কমবে। অন্তত উইকেট নিজেদের মতো করে বানিয়ে তা থেকে অনৈতিক সুবিধা কেউ নিতে পারবে না। টেস্ট ক্রিকেটও এমন একপেশে হবে না। এমনিতেই টেস্টের দর্শক সংখ্যা হু হু করে কমছে।প্রস্তাবটা ভালো সন্দেহ নেই। টি-টোয়েন্টির আগ্রাসনের যুগে টেস্ট ক্রিকেটের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে। এর মাঝে একতরফা ম্যাচ টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণ কমিয়ে দিচ্ছে আরও। ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’-এর অন্যায় সুবিধা কেউ নিতে না পারলে ম্যাচে লড়াই হতেও পারে। সম্ভাবনা অন্তত বাড়বে। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দেশগুলোর নানা আবহাওয়ায় পিচের চরিত্র সব দেশেই একই রকম রাখা কি আদৌ সম্ভব?ইউনিসের বক্তব্যে এর ব্যাখ্যা নেই। তবে খুব সম্ভবত তাঁর বক্তব্যের সার কথা ওয়াসিম আকরামের বক্তব্যের সঙ্গে মেলে। আকরাম বলেছিলেন, টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের মতো সময় এসেছে নিরপেক্ষ কিউরেটর নিয়োগ দেওয়ার। আইসিসির দায়িত্বে থাকা কিউরেটরই যেকোনো টেস্ট সিরিজের পিচ বানাবেন।
185,804
অনলাইন ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ মার্চ ২০১৪, ২০:১০
০২ মার্চ ২০১৪, ২০:৪১
নির্বাচন
null
ইসিতে কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/159244
টাঙ্গাইল-৮ আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিল করার বিরুদ্ধে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর করা আপিল খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন।আজ রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে দেন। খবর ইউএনবির।নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকী ছাড়াও আরও দুজনের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির কাজী আশরাফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু সাঈদ আজাদ মিয়া। ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই আসনে চারজন প্রার্থী বহাল থাকলেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের অনুপম শাজাহান, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) সাদেক সিদ্দিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মালেক ও লিয়াকত আলী।গত ২৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঋণখেলাপির অভিযোগে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়।
55,071
অনলাইন ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২১:৩২
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২১:৩৫
সরকার
null
দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অর্থ সহায়তা দেবে সরকার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/442099
দেশের পাঁচ লাখ দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নগদ অর্থ সহায়তা দেবে সরকার। একই সঙ্গে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী সন্তানের মা যাঁরা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তাঁদেরও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। এ হিসাবে একজন দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারী চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৮০০ টাকা পাবেন।প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার একনেকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর বাসসের।সভায় এটিসহ মোট ৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মোট ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৬৩৬ কোটি, প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৮৪৭ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭ কোটি টাকা। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৬ টি নতুন ও ২ টি পুরোনো।দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সহায়তা প্রকল্পে দেশের রংপুর ও ঢাকা বিভাগের সাতটি জেলার ৪২ টি উপজেলার ৪৪৩ টি ইউনিয়নের ১৬ লাখ পরিবার থেকে ৫ লাখ দুস্থ নারী বাছাই করা হবে। এ লক্ষ্যে একনেক সভায় মূলত দরিদ্র মায়েদের দারিদ্র্য নিরসনের পাশাপাশি তাঁদের সন্তানের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে নগদ অর্থ প্রদানে “ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুরেষ্ট (আইএসপিপি) ” প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার ৩৮ কোটি টাকা ও বিশ্বব্যাংক অবশিষ্ট ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ঋণ দেবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে।একনেক পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রকল্প এলাকা নির্ধারণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দরিদ্রতা ম্যাপকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ-সাত জেলায় দারিদ্রে৵র হার ৩৫ ভাগেরও বেশি। এসব জেলায় অপুষ্টির হারও তুলনামূলক অনেক বেশি। প্রকল্প এলাকা বাছাইয়ে এ বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে ৬৪ টি জেলা এ প্রকল্পের আওতায় আসবে।প্রকল্পের নগদ অর্থ বিতরণ সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারীদের গর্ভকালীন মোট চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। প্রতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এদিকে শূন্য থেকে ২৪ মাস বয়সী দরিদ্র শিশুদের প্রতি মাসে একবার শরীরের বৃদ্ধির অবস্থা পরীক্ষা করে নগদ ৫০০ এবং ২৫ থেকে ৬০ মাস বয়সী শিশুদের তিন মাসে একবার শরীর বৃদ্ধির পরীক্ষা করে নগদ এক হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা নারী ও মায়েরা প্রতি মাসে শিশুপুষ্টি ও উন্নত শিক্ষাসংক্রান্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করলে প্রতিবার ৫০০ টাকা করে পাবেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান।সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে গ্যাসলাইন স্থাপন হবেসভায় সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের আটটি উপজেলায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে ৯৭৯ কোটি টাকায় ধনুয়া-এলেঙ্গা এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম তীর-নলকা গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪৬৫ কোটি, জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ৫০৭ কোটি ও অবশিষ্ট ৭ কোটি সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৬৬ কিমি. দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মিত হবে। এর ফলে বিদ্যমান ও নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা ও অন্যান্য শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে বলে একনেক সভায় জানানো হয়। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৯ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
112,059
শিহাব জিশান
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৯
০৩ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৯
আমার চট্টগ্রাম
0
নাটক আর পদকের মিলিত সন্ধ্যা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/63856
সূর্যকুমার সেন। ব্রিটিশ ভারতের প্রখ্যাত বিপ্লবী। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনসহ বহু বিপ্লবের অধিনায়ক। যিনি মাস্টারদা সূর্যসেন নামেই অধিক পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বে সামান্য কয়েকটি রিভলবার নিয়ে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে অবস্থিত অস্ত্রাগার দখল করেন। ১৯৩০ দশকের অগ্নিযুগের বিপ্লবগাথা নিয়ে খন্দকার মুর্তাজা আলী রচিত ও নির্দেশিত মাস্টার দা নাটক।নাট্যাধারের মহড়াধীন এ প্রযোজনাটির কিছু অংশ গত ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ছয়টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয়। নাট্যাধারের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহড়া দেখার এ ব্যবস্থা। তবে মূল উপলক্ষ ছিল জিয়া হায়দার নাট্যপদক প্রদান। এ বছর চট্টগ্রামে নাট্যচর্চায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নাট্যাধার প্রবর্তিত এই পদক পেয়েছেন নাট্যজন শান্তনু বিশ্বাস।নাট্যপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন সাইফুল আলম চৌধুরী, মশিউর রহমান, চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সভাপতি খালেদ হেলাল, নাট্যকলা বিভাগের বর্তমান সভাপতি কুন্তল বড়ুয়া। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে নাট্যপদকে ভূষিত শান্তনু বিশ্বাস এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী শুভ্রা বিশ্বাস তাঁদের অনুভূতি জানান।প্রধান অতিথি কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, শান্তনু বিশ্বাস চট্টগ্রামের নাট্যাঙ্গনে আধুনিক ও লোকজ নাট্যশৈলীর সমন্বয়ে নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। আমাদের নাটকের অঙ্গন তাঁর কাছে ঋণী।
25,142
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৫:০৫
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৫:৩৫
রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,দুর্ঘটনা
0
ট্রাকের চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/635257
রাজশাহী নগরের খড়খড়ি বাইপাস মোড়ে ট্রাকের চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহীম হোসেন (৩৬), ববিতা খাতুন (৩০) ও তাঁদের মেয়ে রাইসা খাতুন (৪)।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে পবা উপজেলার কুখন্ডি মোল্লাপাড়া গ্রামের ইব্রাহীম তাঁর স্ত্রী ববিতা ও মেয়েকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় খড়খড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুঠিয়ার দিক থেকে রাজশাহীগামী একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ববিতা ও তাঁর মেয়ে রাইসা নিহত হন। ইব্রাহীম ও অটোরিকশার চালক আহত হন। তাঁদের দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে বেলা তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইব্রাহীমের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনতা ট্রাকটিকে আটক করেছে। চালক পলাতক।ট্রাকের চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন।
169,839
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১০:২০
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১০:৫২
বলিউড
null
শ্রীদেবীর মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ বলিউড
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1438446
• বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী শ্রীদেবী আর নেই। • গতকাল শনিবার দুবাইয়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। • টুইটারে অনেকেই শোক বার্তা দিয়েছেন।বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী শ্রীদেবী আর নেই। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুবাইয়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৪ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভারতসহ সারা বিশ্বে। শোকে স্তব্ধ বলিউড। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে অনেকেই শোক বার্তা দিয়েছেন। অভিনেত্রীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন অসংখ্য তারকা।অমিতাভ বচ্চনজানি না কেন এত অসহায় লাগছে।প্রিয়াঙ্কা চোপড়াআমার বলার কোনো ভাষা নেই। শ্রীদেবীকে যাঁরা ভালোবাসতেন, সবার প্রতি সমবেদনা। আজ একটা কালো দিন।প্রীতি জিনতাআমার অল টাইম ফেবারিট শ্রীদেবী নেই শুনে আমি শকড। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর পরিবার শক্তি পাক।বোমান ইরানিঘুম ভাঙল এই শকিং খবরটা শুনে। আমাদের শ্রীদেবী আর নেই। বনি আর তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা।নেহা ধুপিয়াশ্রীদেবী ম্যাম নেই! আমরা আমাদের সবচেয়ে সূক্ষ্ম অভিনেত্রীকে হারালাম।জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজশ্রীদেবী, আমরা একজন আইকনকে এত তাড়াতাড়ি হারালাম!সিদ্ধার্থ মালহোত্রাশ্রীদেবী ম্যাম নেই শুনে সত্যিই শকড।আদনান সামিশেষ রাতে শ্রীদেবীর খবরটা শুনে আমি আর কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। অসাধারণ প্রতিভা। রেস্ট ইন পিস।সুস্মিতা সেনআমি শুনলাম শ্রীদেবী ম্যাম চলে গেছেন। কান্না থামাতে পারছি না।রাভিনা টেন্ডনশকিং একটা খবরে ঘুম ভাঙল। কেন এমন হলো? এত তাড়াতাড়ি চলে গেল শ্রী!এ আর রহমানআমি মর্মাহত। তাঁর পরিবারের সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।রাজকুমার রাওভাবতেই পারছি না! শ্রীদেবী নেই! কী করে সম্ভব! আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।আনুশকা শর্মাআমি শোকাহত। কী বলব, কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।রিতেশ দেশমুখভয়ানক খবর! খবরটা শুনে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছি।
356,186
নিজস্ব প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৫ এপ্রিল ২০১৭, ২০:০২
১৫ এপ্রিল ২০১৭, ২০:০২
সংগীত
0
ঋষিজের বর্ষবরণে চার গুণীকে সংবর্ধনা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1146181
‘ও সখিনা গেছস কিনা’, ‘মন আমার দেহঘড়ি’, ‘স্কুল খুইলাছেরে মাওলা’—বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে এমন জনপ্রিয় সব গানে মুখরিত হয়েছিল রাজধানী শিশুপার্কের সামনের এলাকাটি। রোদ উপেক্ষা করে অসংখ্য নারী-পুরুষ এখানে শামিল হয়। মেতে উঠে গানে গানে।পয়লা বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ ঋষিজের বৈশাখী আয়োজন। গতকাল শুক্রবার বৈশাখী সকালে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে ‘জাগো নব আনন্দে’ শিরোনামে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। সভাপতিত্ব করেন ঋষিজের সভাপতি ফকির আলমগীর। এবারের আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে কবি সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক, কবি শহীদ কাদরী, মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন ও পশ্চিমবঙ্গের লোকসংগীতশিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যকে।ঋষিজের বর্ষবরণের ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার চার গুণীকে সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক রথীন্দ্রনাথ রায় ও উমা খান, সাংবাদিক-গীতিকার ফকরে আলম এবং কবি নাসির আহমেদ।আয়োজনের শুরুতেই দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেয় ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। তাঁরা পরিবেশন করেন ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’সহ বেশ কিছু গান। এরপর আসামের শিলচরের নৃত্যদল নৃত্যায়ন নৃত্য পরিবেশন করে৷ আলোচনা ও সংবর্ধনা শেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।শিল্পী ফকির আলমগীর দুবার মঞ্চে উঠে জনপ্রিয় সব গান গেয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন। তাঁর গাওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘রমনার বটমূলে সাজে নারী বেলি ফুলে’, ‘বাজে কি মধুর সুরে বাংলাদেশের বাঁশি’, ‘মানুষের মাঝে বসবাস’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান। ‘থাকিলে ডোবাখানা, হবে কচুরিপানা’ গানটিতে তাঁর সঙ্গে কলকাতার শিল্পী অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ও কণ্ঠ দেন।এই আয়োজনে একক কণ্ঠে লোকসংগীত পরিবেশন করেন মীনা বড়ুয়া, আবু বকর সিদ্দিক, অনিমা মুক্তি গোমেজ, আবিদা রহমান সেতু, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, হালিমা খাতুন। একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের কমলীকা চক্রবর্তী ও অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, সুমী আক্তার, সুমী শবনম, হালিম খান ও সমর বড়ুয়া। বাউলদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।
311,522
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:১৩
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:১৩
সিলেট,সিলেট বিভাগ,মহানগর
0
তাঁবু জলসা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/760399
অরুণী মুক্ত স্কাউট দলের সাবেক স্কাউটদের পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা উপলক্ষে তাঁবু জলসা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার রাতে সিলেট নগরের কুমারপাড়ায় এ তাঁবু জলসার আয়োজন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন সাবেক স্কাউট সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদ। সাবেক স্কাউট জিয়াউল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের পর তাঁবু জলসায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ, ক্রীড়া সংগঠক গোলাম জাকির চৌধুরী, গোলাম জাবির চৌধুরী, দেওয়ান আল আমিন আল মুতাকাব্বীর ও তারেক আহমদ চৌধুরী।
198,955
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ অক্টোবর ২০১৪, ০০:৪৭
১১ অক্টোবর ২০১৪, ০০:৪৭
টেকনাফ,কক্সবাজার,অপরাধ,বিশাল বাংলা,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
৫০ হাজার ইয়াবাসহ নৌকা ও জাল উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/340147
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ একটি নৌকা ও জাল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৪২ বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবু জার আল জাহিদের নেতৃত্বে ভোরে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আছারবনিয়াসংলগ্ন নাফ নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি নৌকাকে সংকেত দিলে চারজন মাঝিমাল্লা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান। পরে নৌকাটিতে তল্লাশি চালালে জালের নিচ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও নৌকাটি জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে বিজিবি দাবি করেছে।৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবু জার আল জাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ইয়াবাগুলো বিজিবির সদর ব্যাটালিয়নে জমা রাখা হয়েছে।
99,678
ভোলা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২৫
২৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২৬
বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
উচ্ছেদ অভিযান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/435166
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ বাজারের জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের ৪০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সকাল ১০টা থেকে একটা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলা সদরের শশীগঞ্জ বাজার দখল করে প্রভাবশালীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এতে শহরের সৌন্দর্য নষ্টসহ চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছিল। গতকাল অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফুটপাত দখল না করার জন্যও সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
110,339
-1
sports
খেলা
০৬ জুন ২০১৫, ০১:৫০
০৬ জুন ২০১৫, ০১:৫৭
খেলা,অ্যাথলেটিকস
0
গ্যাটলিনের বৃহস্পতি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/546436
ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়ে দুই দফা নিষিদ্ধ ছিলেন। তবে ফিরে এসে সমালোচনার মুখেও জাস্টিন গ্যাটলিন যেন আরও শাণিত হয়েছেন। গত মাসে ডায়মন্ড লিগ অ্যাথলেটিকসের দোহা মিটে ক্যারিয়ার-সেরা ৯.৭৪ সেকেন্ড টাইমিং করার পর এবার রোম মিটে ১০০ মিটার দৌড়ালেন ৯.৭৫ সেকেন্ডে। রোমের ট্র্যাকে এটি আমেরিকান স্প্রিন্টারের টানা তৃতীয় সাফল্য। পরশু তাঁর টাইমিং রোমের ট্র্যাকে নতুন রেকর্ডও। ১০০ মিটারে এখানকার আগের রেকর্ডটি ছিল ৯.৭৬ সেকেন্ডের, ২০১২ সালে যেটি গড়েছিলেন উসাইন বোল্ট। এএফপি।
144,861
তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:২২
০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:২৩
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
৩৬৫ দিনে ক্লাস হয়নি ২১৮ দিন!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/114598
শবে বরাতসহ বর্ষাকালীন ছুটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ক্লাস বন্ধ ছিল ১ জুন থেকে ৩০ জুন। ৩০ দিনের এই ছুটির রেশ কাটতে না-কাটতেই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয় ১ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত। পরে ৮ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজাসহ শরৎকালীন ছুটিতে ক্লাস বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্লাস শুরু হতে না-হতেই আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাস হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে।এভাবেই গত বছর ৯৮ দিন ঘোষিত ছুটিতে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই বাড়তি ঘোষিত বন্ধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বছরজুড়ে আঞ্চলিক ও পুরো দেশে বিরোধীদলীয় জোটের ডাকা প্রায় ৭৫ দিনের হরতাল ও অবরোধে অঘোষিত ছুটি। সঙ্গে ৫২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি তো ছিলই। ঘোষিত ও অঘোষিত এসব ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কোনো বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও ক্লাস হয়নি কোথাও। এর মধ্যে সাত দিন হরতাল-অবরোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত বন্ধের মধ্যে ছিল। তাই সব মিলিয়ে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৮ দিনই কোনো ক্লাসই হয়নি। যা গত ১০ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বনিন্ম কম ক্লাস হওয়ার রেকর্ড। ফলে গত বছরটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসহের বছর, সেশনজট বাড়ার বছর।এদিকে বাড়তি ঘোষিত বন্ধের সঙ্গে গত বছর অঘোষিত বন্ধ বাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস কম হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট নতুন করে শিক্ষাজটে পড়ছে, তেমনি আগে থেকে সেশনজটের কবলে থাকা বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষাজট দীর্ঘতর হচ্ছে।শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এমনিতেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বছরের প্রায় সময়ই বিশ্ববিদ্যালয় অঘোষিত ছুটিতে থাকে। সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ঘোষিত বন্ধ রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত খারাপ সময় যাচ্ছে। এটি শিক্ষাজট বাড়ার ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’
40,756
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩৬
০১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩৭
রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার
0
স্কুলছাত্রী পুতুল হত্যা মামলায় একমাত্র আসামির যাবজ্জীবন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/816100
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী পুতুল বালা (১৮) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আমিরুল ইসলামকে (৩৪) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। আমিরুলের বাড়ি রানীশংকৈল ভণ্ডগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলে পিয়ন পদে চাকরি করতেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এন্তাজুল হক। এন্তাজুল বলেন, রানীশংকৈলের নারায়ণপুর গ্রামের গণেশ চন্দ্র বর্মণের মেয়ে পুতুল ২০০৬ সালের এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ওই বছর পরীক্ষা দিতে পারেননি। ওই সময় স্কুলের পিয়ন আমিরুল তাঁকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে পুতুল অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি আমিরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। আমিরুল রাজি না হয়ে উল্টো তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০০৬ সালের ৬ মে রাতে পুতুলকে আমিরুল বাড়ির পাশের একটি ধানখেতে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ৭ মে সকালে স্থানীয় লোকজন ধানখেতে তাঁর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরদিন ৮ মে গণেশ বর্মণ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে আমিরুলই পুতুলকে হত্যা করেছেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৯ সালের ৩০ জুন তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলাটি ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা জজ আদালতে থাকায় বিচারকাজ শেষ হচ্ছিল না। গত বছরের ডিসেম্বরে মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। মামলায় মোট ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমিরুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। ওই টাকা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আমিরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।তবে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকার করে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
216,150
ইসলামপুর (জামালপুর) থেকে মানসুরা হোসাইন ও আবদুল আজিজ
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ আগস্ট ২০১৬, ২০:৫১
০১ আগস্ট ২০১৬, ২১:১৬
-1
null
‘আমাদের কষ্ট দেখে কুত্তাও কান্দে...’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/932464
ঘরে প্রায় কোমরসমান পানি। কেউ কেউ সেখানেই থাকছেন পানি কমার আশায়। অনেকে ঘরবাড়ি ফেলে আশ্রয় নিয়েছেন সেতুর ওপর বা উঁচু কোনো জায়গায়। চারপাশে পানি বয়ে চলার শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। ইঞ্জিনচালিত নৌকা কাছে ভিড়তেই মানুষগুলো ছুটে আসে। এসেই প্রথম আলোর প্রতিবেদকদের কাছে বলতে থাকেন, ‘আমার নামটা একটু লেখেন। আমার স্বামীর নামটা একটু লেখেন।’তারপর যখন বুঝতে পারেন, কেউ তাঁদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যায়নি, তা শুনে অনেকেই একটু থমকে যান। ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলতে শুরু করলে মানুষগুলোর মুখ মলিন হতে থাকে।গত শনিবার জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া, বলিয়াদহ, আমতলী, ডেবরাইব্যাচ, চিনাডুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পশ্চিম বামনা, দেওয়ানপাড়া, আজমবাগ, নতুন পাড়া, পাথর্শী ইউনিয়নের বানিয়া বাড়ি এলাকায় নৌকায় ঘুরে এ চিত্রই পাওয়া যায়। বানভাসি মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় আছে নারী, শিশু ও পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা। যে পরিবারে প্রতিবন্ধী সন্তান আছে, তাদের অবস্থা অবর্ণনীয়।স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০ দিন ধরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার পাঁচ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী। এর মধ্যে সবচেয়ে দুর্গত এলাকা ইসলামপুরেই আছে দুই লাখের বেশি মানুষ।ইসলামপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে যত দূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। কোনটি মূল যমুনা নদী, আর কোনটি নদীর পাড় তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আর বোঝার উপায় নেই। পাট ও আখগাছের শুধু আগাটুকু ভেসে আছে কোনো কোনো জায়গায়। বিদ্যালয়, মসজিদ, ঘরবাড়ির কোনোটির শুধু টিনের চাল ভেসে আছে। যেসব পরিবারের নিজস্ব নৌকা নেই, তাদের কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। টিউবওয়েল ডুবে গেছে। খাবার পানির জন্য হাহাকার। নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর পাশাপাশি বাড়ির গরু, ছাগল ও ঘরের কিছু জিনিস যদি বাঁচানো যায়, তার প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে। অনেকেই জানালেন, তাঁরা এ পর্যন্ত এক ছটাক চালও সহায়তা পাননি। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। মুঠোফোনে যোগাযোগ বন্ধ। বেশির ভাগ মানুষই জানালেন, ১৯৮৮ সালের বন্যার পর এবারই এ ধরনের ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।একটি রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা আজেমা। গত কয়েক দিনে ভাত আর আলু ভর্তা ছাড়া তাঁর কপালে আর কিছু জোটেনি।আমতলী বাজারের আসাদুজ্জামান পলিথিনে করে চিড়া নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমাদের কষ্ট দেখে কুত্তাও কান্দে। খালি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দেখা পাওন যায় না।’কাজলী তাঁর মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে (১৫) নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় থাকছেন। পলিথিনের শুধু একটু ছাউনি দিয়েই চলছে মা ও মেয়ের সংসার। রাস্তায় সারাক্ষণ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। মেয়ে সুযোগ পেলেই দৌড় লাগায়। মেয়ের সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ করে কি না, সে ভয়ও আছে। তাই মেয়েকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখতে হয় বলে জানালেন কাজলী।আছিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি রুমে পাঁচটি পরিবার বসবাস করছে বলে জানালেন একজন। পরক্ষণেই জানালেন, বিদ্যালয়েও পানি ঢুকে পড়ল বলে।প্রায় কোমরসমান পানিতে দাঁড়ানো এক বাবা গায়ে জামাকাপড় ছাড়া ছেলেকে দেখিয়ে বললেন, ‘ওকে আপনারা নিলে নিয়ে যান।’বেলুনি জানালেন, তিন দিন ধরে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা চিড়া, মুড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। একটি টিউবওয়েল পানির নিচে এখনো তলিয়ে যায়নি বলে খাবার পানির সমস্যা হচ্ছে না আপাতত।জোহরার স্বামী মারা গেছেন। এবারের বন্যায় ঘর পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। তিনি জানালেন, রাত ১১টায় বাঁধ ভেঙে যায়। ঘরে পানি ঢুকে। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের হাত ধরে বেঁচে এসেছেন। ছেলে কয়েকটি বই শুধু রক্ষা করতে পেরেছে। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় আর চারটি পরীক্ষা বাকি ছিল। তা আর দেওয়া হলো না ছেলের।দেওয়ানপাড়ার ভূতের সড়কে কথা হয় মর্জিনার সঙ্গে। তিন বছর ও ১০ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জানালেন, ১০ মাস বয়সী মেয়েকে শুধু বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন।বিভিন্ন এলাকার বলতে গেলে সব মাছের ঘের ভেসে গেছে। ঘেরের জায়গায় জাল পেতে মাছ ধরছেন অনেকে। কেউ কেউ ভিজে যাওয়া মরিচ রাস্তায় শুকাচ্ছিলেন।একটি বড় নৌকার মালিক হাসেন মণ্ডল আট দিন ধরে নৌকায় থাকছেন। তাঁর চার মণ মরিচ, ২০ মণ ধান ভেসে গেছে পানিতে। শ্রমিকের পেছনেই ১৮ হাজার টাকা ব্যয় করে পাট চাষ করেছিলেন। ওই পাট কেটে পানিতে জাগ (ভিজিয়ে) দিয়ে রেখেছিলেন, তা কোথায় ভেসে গেছে কে জানে!চিনাডুলী ইউনিয়নে ২২ হাজার ভোটার। ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য ৮০০ স্লিপ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা পাননি, তাঁরা একটি স্লিপ পেতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন।এ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি নাফিকুল ইসলাম জানালেন, ইউনিয়নটি অনেক বড়। ত্রাণ খুব কম আসছে। টয়লেট, খাবার পানি এবং গবাদিপশুর খাবারের তীব্র সংকট। এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো মেডিকেল দল আসেনি। মানুষগুলোর হাত, পায়ে ঘা হয়ে গেছে পানিতে থাকতে থাকতে। পানি নেমে গেলে অবস্থার আরও অবনতি হবে।৯০ বছর পার হওয়া শতভান ভিড় ঠেলে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কাছে তাঁর নামটি লেখার জন্য অনুরোধ জানালেন। এতে করে যদি কেউ তাঁকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে—সে আশায়।৩ নম্বর চিনাডুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানালেন, তিনি নিজেই পানিবন্দী। চালের পাশাপাশি শুকনো খাবার ত্রাণ হিসেবে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী জানালেন, এখানকার চার লাখ মানুষের মধ্যে দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী। এর মধ্যেই ৭০ বছর বয়স্ক একজনসহ ছয়জন শিশু পানিতে পড়ে মারা গেছে।জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খানের দেওয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত বন্যাদুর্গত এলাকায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল, ৬ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে খোলা হয়েছে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র।
245,302
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ মার্চ ২০১৬, ০২:১৩
১৬ মার্চ ২০১৬, ০২:১৪
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
ছাত্ররাজনীতির কারণে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান দরকার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/800542
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির কারণে সংঘাত, সেশনজটসহ নানা সমস্যা বিরাজ করছে। আবার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা সেভাবে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও উপকরণ নেই। তাই দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির কারণে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা উচিত। তা না হলে উচ্চশিক্ষা হুমকির মুখে পড়বে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে ‘প্রাইভেট আধিপত্যের যুগের কাঠগড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়: কিছু প্রাথমিক কথা’ শীর্ষক প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল কবীর।বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলনকক্ষে ‘রাজনীতি এবং উন্নয়ন’ শিরোনামে এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল হোসাইন সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। তিনটি প্রবন্ধের ওপর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা।সেমিনারে ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম: নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামোর আলোচনা’ শীর্ষক প্রবন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমের জন্য সমন্বিত কোনো নীতি বা আইনি কাঠামো না থাকার কারণে সরকার বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে এখতিয়ারবহির্ভূত ক্ষমতা চর্চার অভিযোগও রয়েছে। এই দুটি বিষয় রোধে দেশে যে আইন, নিয়মনীতি আছে তার মাধ্যমে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ পরিকাঠামো গড়ে তোলা উচিত। এ ছাড়া সেমিনারে ‘ইসলাম এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী।
211,225
-1
sports
খেলা
২৬ মে ২০১৬, ০২:১৬
২৬ মে ২০১৬, ০২:১৮
খেলা,অ্যাথলেটিকস
0
১৪ রুশ অ্যাথলেট ডোপপাপী
http://www.prothom-alo.com/sports/article/868867
বেইজিং অলিম্পিকে অংশ নেওয়া ১৪ জন রুশ অ্যাথলেট ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েছেন। ২০০৮ অলিম্পিকের সময় নেওয়া নমুনা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পুনঃপরীক্ষা করেই শনাক্ত করা হয়েছে তাঁদের। রাশিয়ার ম্যাচ টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, ডোপপাপী এই ১৪ জনের তালিকায় আছেন বেইজিং অলিম্পিকে মেয়েদের রিলে দৌড়ে সোনাজয়ী ইউলিয়া চের্মোশানস্কায়া এবং মেয়েদের হাইজাম্পে ব্রোঞ্জজয়ী আনা চিচেরোভা। কিছুদিন আগেই আইওসির সভাপতি টমাস বাখ জানিয়েছিলেন, বেইজিং অলিম্পিকে নেওয়া নমুনা পুনঃপরীক্ষায় ১২টি দেশের মোট ৩১ জন ক্রীড়াবিদ পজিটিভ হয়েছেন। ১৪ জন রুশ সেই ৩১ জনেরই অংশ। এএফপি।
226,258
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৫০
১৮ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৫২
-1
0
বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্বেগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/195307
পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরাসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন। সবাই অবিলম্বে আবু বকরকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ দাবি জানানো হয়।গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আবু বকর অপহরণের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। সারা দেশে যেভাবে গুম-খুনের ঘটনা চলছে, তাতে জনগণের উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে।’পৃথক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, এ ঘটনায় জনমনে সংশয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আবু বকর সিদ্দিককে সুস্থ অবস্থায় খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, আবু বকর অপহরণের দায় সরকার এড়াতে পারে না।আবু বকরকে দ্রুত সুস্থভাবে উদ্ধারের জন্য সব ধরনের প্রশাসনিক শক্তি প্রয়োগ করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।সমাবেশ: আবু বকরকে অপহরণের প্রতিবাদে ও তাঁকে দ্রুত উদ্ধারের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ‘লেখক-শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী-শিক্ষক-শিক্ষার্থী-রাজনৈতিক কর্মী-পেশাজীবীবৃন্দ’। সমাবেশে সংহতি জানান অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির প্রমুখ।
66,618
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৪৩
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৪৭
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,মহানগর
0
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/311293
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টি ডিবেটিং ফোরামের (বিএফডিএফ) আয়োজনে কিউট-বিএফডিএফ তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে। ‘শৃঙ্খলমুক্তির মন্ত্রে, গড়ি নতুন প্রাণের বন্ধন’ স্লোগান সামনে রেখে প্রধান অতিথি হিসেবে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফডিএফের প্রধান নির্বাহী সদস্য আনন্দ শংকর রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন আমজাদ হোসেন, বিএফডিএফের উপদেষ্টা শাহ আজম শান্তনু ও রোকসানা বেগম। প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩২টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ অংশ নেবে।প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবন, সিরাজী ভবন, ডিনস কমপ্লেক্সে প্রতিযোগিতার প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড এবং কোয়ার্টার ফাইনাল হয়। দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার সকালে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সর্বশেষ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফাইনাল রাউন্ড হবে। পরে এই মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আমাদের আকাঙ্ক্ষা ও অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন। পরে তিনি বিতর্কে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
91,017
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
১৩ জুলাই ২০১৭, ১১:২২
১৮ জুলাই ২০১৭, ১৩:১০
ক্রিকেট
null
যেখানে বাংলাদেশ পিছিয়ে জিম্বাবুয়ের চেয়ে
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1250441
সিরিজ শুরুর আগেও বিষয়টি অকল্পনীয় ছিল। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ধবলধোলাই হবে জিম্বাবুয়ে, এমনটা ধরে নিয়েছিল প্রায় সবাই। কিন্তু পাশার দান পাল্টে উল্টো সিরিজ জিতে নিয়েছে গ্রায়েম ক্রেমারের দল। এতেই ১৬ বছরের অপেক্ষা ফুরোল জিম্বাবুয়ের। ২০০১ সালের পর কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে তাদের মাঠেই হারাল জিম্বাবুয়ে।২০০১-০২ মৌসুমে বাংলাদেশে এসে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল হিথ স্ট্রিক ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়াররা। এর আগে সে বছরই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ের ‘সোনালি প্রজন্ম’। ব্যস, প্রতিপক্ষের মাঠে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে সিরিজ জেতার স্বাদ আর পায়নি তারা। ভুলে যাওয়া সে স্বাদ আবারও ফিরে পেল তারা। সেটাও কী দাপটের সঙ্গে! সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই একটি রেকর্ড গড়েছিল জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে যেকোনো সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম জয় পেয়েছে তারা। সেটাও ৩০০ তাড়া করে। শ্রীলঙ্কার মাঠে এর আগে শ্রীলঙ্কাও ৩০০ তাড়া করে কখনো জেতেনি!সিরিজ শেষে সে রেকর্ডও এখন আর কেউ মনে রাখছে না। ১৬ বছর কিংবা একদম নিখুঁত হতে চাইলে ৫ হাজার ৭০৬ দিন পর শীর্ষ কোনো দেশে গিয়ে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল জিম্বাবুয়ে। অথচ এই দলকেই কদিন আগে বলে-কয়ে হারিয়েছে আফগানিস্তান। উঠতি এই শক্তির কাছে টানা সিরিজ হেরে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১১-তে চলে গিয়েছে জিম্বাবুয়ে।বড় হতাশার এক পথচলা। তবে এমন দীর্ঘ অপেক্ষা জিম্বাবুয়ের জন্য নতুন কিছু নয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০১ সালে সিরিজ জেতার আগে ১৮ বছর প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে বারবার খালি হাতে ফিরেছে তারা। এদিক থেকে শ্রীলঙ্কাও অবশ্য এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ের চেয়ে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৪ সাল—১৯ বছর ওয়ানডেতে বিদেশ সফর মানেই শ্রীলঙ্কার ব্যর্থতা।তবে হতাশার এসব গল্পে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সালে ওয়ানডে যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে প্রথম জয় এসেছে ১৯৯৭ সালে। আর প্রথম সিরিজ জয় এরও আট বছর পর। তবে টেস্ট খেলুড়ে প্রতিপক্ষের মাঠে সিরিজ জয়ের আনন্দ পেতে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সেটা ওই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০০৬ সালেই একবার একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ।কাগজে-কলমে ৭ হাজার ৬১৫ দিনের অপেক্ষা ফুরিয়ে ৩-১ ব্যবধানে জেতা ওই সিরিজের পর দেশের বাইরে আরও দুবার জয় পেয়েছে। তবে ২০০৯ সালের পর থেকেই আবারও সাফল্য-খরায় ভুগছে বাংলাদেশ। এই আট বছরের অপেক্ষা এবার কত বছরে গিয়ে থামে কে জানে!প্রতিপক্ষের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের দীর্ঘ অপেক্ষাদলসময়সীমাদিনের হিসাববাংলাদেশ১৯৮৬-২০০৭৭৬১৫শ্রীলঙ্কা১৯৭৫-১৯৯৪৭০৮৯জিম্বাবুয়ে১৯৮৩-২০০১৬৪১৭জিম্বাবুয়ে২০০১-২০১৭৫৭০৬নিউজিল্যান্ড১৯৯২-২০০৪৪৩৮৫
325,978
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২৫
০৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২৬
খবর,সংসদ,রাজধানী (জাতীয়)
0
কাদের সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/419344
কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির প্রধান কাদের সিদ্দিকীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করেছে সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও কাদের সিদ্দিকীর মধ্যে তিক্ত বাদানুবাদের এক মাসের মাথায় সরকারি হিসাব কমিটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাছে এ সুপারিশ করল। মহীউদ্দীন খান এ কমিটির সভাপতি।গত বছরের ১১ নভেম্বর মহীউদ্দীন খানের পুরোনো একটি মানহানির মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালত কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরের দিন কাদের সিদ্দিকী নিজ বাসায় সাংবাদিকদের বলেন, মহীউদ্দীন খান একজন বিশুদ্ধ রাজাকার, এ কথা বললে যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়, তবে আমি গ্রেপ্তার হতে রাজি।এরপর ১ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে মহীউদ্দীন খান বলেন, কাদের সিদ্দিকী একজন বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধা।বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বৈঠকে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের নিরীক্ষা আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে দেখা যায়, কাদের সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠান জামালপুরের বকসীগঞ্জ-সুনন্দাবাড়ী সেতুর নির্মাণকাজ অসমাপ্ত রাখায় সরকারের ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সংক্রান্ত আরবিট্রেশন মামলায় আদালত কাদের সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রায় দিয়েছেন।জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। কারণ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠানটি এখন নিষ্ক্রিয়।
105,197
অনলাইন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
০৫ জুলাই ২০১৩, ১৮:০২
০৫ জুলাই ২০১৩, ১৯:৩২
সংগীত
0
বিপুল ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে সহযোদ্ধাদের প্রতিক্রিয়া
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/19544
তিন বছর ধরে ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে আজ শুক্রবার সকাল নয়টা ২৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী বিপুল ভট্টাচার্য। ধানমন্ডির আহমদ মেডিকেল সেন্টারে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা। তেমনি কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হল এখানে...ইন্দ্রমোহন রাজবংশী: বিপুল ভট্টাচার্যদের মতো মানুষেরা বারবার জন্ম নেয় না। এ ধরনের প্রতিভা একবারই জন্ম নেয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, চরম অবহেলা ও অনাদরে বিপুল ভট্টাচার্যের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি অসম্ভব উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন হয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মেধাবী এই কণ্ঠশিল্পীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনোরূপ সম্মান দেখানো হয়নি। সরকারি ও বেসরকারিভাবে যদি বিপুল ভট্টাচার্যের মতো মানুষদের সম্মান দেখানো যেত, তা হলে দেশ এবং সমাজও অনেক বেশি আলোকিত হতো। আজকের সময়ে মূল্যবোধের যে অবক্ষয় সে সময়টাতে বিপুল ভট্টাচার্যের মতো মানুষদের প্রয়োজনটা অনেক বেশি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশে সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁর আরও অনেক কিছুই দেবার ছিল।  সুজেয় শ্যাম : স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মাধ্যমে একজন শব্দসৈনিক হিসেবে বিপুল ভট্টাচার্যের অবদানের কথা সবাই জানেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিপুল ভট্টাচার্য অনেক বড় মনের একজন মানুষও ছিলেন। সুস্থ অবস্থায় সব সময় সবার খোঁজখবর নিতেন। অত্যন্ত বন্ধুবত্সল ছিলেন বিপুল। সবাইকে আপন করে নেওয়ার অন্যরকম ক্ষমতা ছিল তাঁর। অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবে এত দ্রুত যে তিনি এভাবে চলে যাবেন, সেটা কল্পনা করিনি। তিমির নন্দী: মুক্তিযুদ্ধের সময় কণ্ঠযুদ্ধে বিপুল আমার সহযোদ্ধা ছিলেন। আমার একজন বন্ধুও তিনি। ১৯৬৯ সালে ইস্ট পাকিস্তান প্রতিযোগিতায় পল্লি গানে আমি হয়েছিলাম দ্বিতীয় আর বিপুল প্রথম। সেই থেকে আমাদের পরিচয় এবং বন্ধুত্ব। একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে দেশের জন্য তাঁর অবদান সবার জানা। বিপুলের মতো লোকগানও খুব কম মানুষই গেয়েছে। আবদুল আলীম ছিলেন একজন, আরেকজন আমাদের বিপুল ভট্টাচার্য। বিপুলের মৃত্যুতে আমরা হারালাম এ দেশের ইতিহাসের একজন সাক্ষীকে। খুব খারাপ লাগছে বিপুলের পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া আর এই সময়ে আমি ঢাকার বাইরে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিপুলকে নিয়ে একজনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। অনেক আগে থেকেই ও অসুস্থ। অসুস্থ হওয়ার পরপরই ওকে নিয়ে বিটিভি ও দেশ টিভিতে অনুষ্ঠান করেছিলাম। সব সময় চেষ্টা করেছি কিছু একটা করতে। ফকির আলমগীর: স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র কিংবা লোকগানের অন্যতম শিল্পী নয়, বিপুল ভট্টাচার্য হলেন বাংলার হিরো। তার চেতনার মূলে ছিল গণসংগীত। একই চেতনা নিয়ে আমরা গান করেছি। আমরা অনেক জনপদে গান গেয়েছি। বিপুল সব সময় প্রগতি ও অসাম্প্র্রদায়িকতার পক্ষে কাজ করেছে। তাঁর মতো একজন বড় মাপের শিল্পীকে কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করা হয়নি—বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। বিভিন্ন সংগঠন তাঁকে পুরস্কার দিলেও, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়নি। সাড়ে তিন বছর তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন। প্রচারবিমুখ একজন মানুষ ছিলেন তিনি। প্রচারমাধ্যমের সামনে খুব একটা আসতেন না। কাজ করে যেতেন। তার চলে যাওয়ায় সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। চন্দনা মজুমদার : বিপুল ভট্টাচার্য স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে যেমন কাজ করে গেছেন, ঠিক তেমনি স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ফোক গানকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছেন। এত দরাজ কণ্ঠস্বরের ফোক গানের শিল্পী আমি আমার জীবনে দেখিনি। কিন্তু সব সময় বেশ আড়ালে থাকতে পছন্দ করতেন তিনি। গান তিনি করে গেছেন নিজের জন্য, মানুষের জন্য। তাঁর মৃত্যুতে লোকসংগীতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
267
উজ্জ্বল মেহেদী, সিলেট
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:৫২
০২ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:৫৩
সিলেট বিভাগ,রাজনীতি
null
সিরাজের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1130661
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ। ২২ মার্চ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে নিজের এই ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন এই নেতা।এই আসনের বর্তমান সাংসদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মিসবাহ প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় সমাবেশ মঞ্চেই ছিলেন অর্থমন্ত্রী। এই ঘোষণার সময় ‘সংসদে দেখতে চাই’ ব্যানার উঁচিয়ে মিসবাহকে সমর্থন জানান তাঁর সমর্থকেরা। প্রবীণ একজন নেতার সামনে তাঁরই আসনে এভাবে প্রার্থিতা ঘোষণায় সিলেট আওয়ামী লীগে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।সিলেট বিভাগীয় তৃণমূল সমাবেশে মিসবাহ বলেছিলেন, ‘আমি জীবনেও জনপ্রতিনিধি হতে পারিনি। যেহেতু আমাদের সুযোগ্য অর্থমন্ত্রীর বয়স হয়েছে, তিনি অবসর নেবেন। আজ যখন সুযোগ এসেছে, আমি আপনাদের সহায়তা পেলে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার আবেদন জানাতে চাই।’জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন বর্ষীয়ান নেতার সামনে তাঁর আসনে এভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করা আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি না। এটা তাঁর (মিসবাহ) ব্যক্তিগত মতামত।’অন্যদিকে নগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলছেন, সিলেট আওয়ামী লীগে মিসবাহউদ্দিন সিরাজই একমাত্র নেতা; যিনি তৃণমূল থেকে এখন কেন্দ্রের নেতৃত্বে আসীন। সুতরাং তাঁর এই চাওয়া রাজনৈতিকসুলভ নয়, এটা ভাবার অবকাশ নেই। এটাই রাজনৈতিক বাস্তবতা।সিলেট-১ আসনটি নিয়ে একধরনের কথা চালু আছে। গত প্রায় পাঁচটি নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, এই আসনে যে দলের প্রার্থী জেতেন, সেই দলই ক্ষমতায় যায়। ১৯৯১ সালে বিএনপির প্রার্থী প্রয়াত খন্দকার আবদুল মালিক সাংসদ হয়েছিলেন। ওই বছর সরকার গঠন করেছিল বিএনপি। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জিতেছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐকমত্যের সরকার গঠন হয়। ২০০১ সালে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান জয়ী হন। বিএনপির নেতৃত্বে তখন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করে। ২০০৮-এর নির্বাচনে জয়ী হন আবুল মাল আবদুল মুহিত; সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বর্তমান অর্থমন্ত্রী।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুল মাল আবদুল মুহিত আর প্রার্থী হচ্ছেন না—এ কথা তাঁর মুখ থেকে বিভিন্ন সময় শোনা গেছে। প্রায় দুই বছর ধরে সিলেটে অর্থমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তাঁর ছোট ভাই জাতিসংঘে সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেনকে অংশ নিতে দেখা গেছে। আগামী নির্বাচনে মুহিত প্রার্থী না হলে মোমেন প্রার্থী হচ্ছেন—এ রকম প্রচারও আছে সিলেটে। এ অবস্থায় তৃণমূলের সমাবেশে মিসবাহউদ্দিন সিরাজের ঘোষণা আওয়ামী লীগে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।মিসবাহউদ্দিন আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসীন হওয়া সিলেট অঞ্চলের একমাত্র নেতা। ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে রাজনীতির হাতেখড়ি। জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদের মাধ্যমে মূল দলের নেতৃত্বে আসেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় একনাগাড়ে সাত বছর জেল খাটেন। ২০০২ সালে সিলেট মহানগর প্রতিষ্ঠার পর দুই মেয়াদে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৪ সালে সিলেটের গুলশান সেন্টারে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) জঙ্গি হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিন মেয়াদে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন।তাঁর ঘোষণা দলে বিভক্তি বা বিরোধের শঙ্কা তৈরি করবে কি না, জানতে চাইলে মিসবাহউদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন, প্রার্থিতা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। তবে ভোট দেওয়ার বেলায় নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা নৌকার পক্ষেই থাকেন। এটা অতীতে প্রমাণিত। তবে আমার প্রার্থিতার পেছনে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। এটা এখন নয়, সময় হলেই দেখা যাবে।’
308,897
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৮
১২ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৯
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম),বিশাল বাংলা,চট্টগ্রাম বিভাগ,দুর্ঘটনা
0
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নিহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/600151
মালয়েশিয়ায় গত সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আজাদ শোয়েব (২৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পারিবারিক সূত্র এ কথা জানিয়েছে।নিহত আজাদ শোয়েবের বাড়ি উপজেলা সদরের দর্জিপাড়ায়। পাঁচ মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেছিলেন। ছুটি শেষে তিনি মালয়েশিয়ার কর্মস্থলে ফিরে যান।আজাদ শোয়েবের চাচা মামুনুর রশীদ জানান, সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে কুয়ালালামপুরের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মুঠোফোনে মা খালেদা বেগমের সঙ্গে কথা বলছিলেন আজাদ। এ সময় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কার তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ বুধবার আজাদের লাশ দেশে আনা হবে।
159,476
-1
economy
অর্থনীতি
২৯ জুন ২০১৯, ১২:৫৯
৩০ জুন ২০১৯, ১৫:২৯
সাক্ষাৎকার,বাজেট বিশ্লেষণ,ভ্যাট
null
ভ্যাট কমানো দরকার পরিবেশবান্ধব ইটে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1601746
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সনাতন ও যন্ত্রে তৈরি ইট বিক্রিতে নির্দিষ্ট হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগ ভালো নাকি খারাপ হলো, সে বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অটো ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বি এন দুলাল।প্রথম আলো: প্রস্তাবিত বাজেটে যন্ত্রে তৈরি সাধারণ ইট বিক্রিতে ভ্যাটের হার প্রতি হাজারে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। ছিদ্রবিশিষ্ট বিশেষ ইটে ভ্যাটের হার হাজারে ৭০০ টাকা। এতে করে কি প্রভাব পড়বে?বি এন দুলাল: আধুনিক পদ্ধতিতে যন্ত্রে তৈরি ইট বা অটো ব্রিক পরিবেশবান্ধব। কারণ, সনাতন পদ্ধতির চেয়ে যন্ত্রে তৈরি ইটে ৩০ শতাংশ কম মাটি লাগে। ইট পোড়াতে জ্বালানিও তুলনামূলক কম লাগে। তবে সনাতন ও অটো ব্রিকের ভ্যাটের হারের মধ্যে বৈষম্য ছিল। পরিবেশবান্ধব ইটের ব্যবহার বাড়াতে আমরা সেই বৈষম্য দূর করে ভ্যাটের হার শূন্য করার দাবি করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেটি না হলেও পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এত দিন প্রতিটি সাধারণ ইটে ৪৮ পয়সা ভ্যাট দিতে হতো। সেখানে ২ পয়সা বেড়ে হচ্ছে ৫০ পয়সা। অন্যদিকে ছিদ্রবিশিষ্ট প্রতি ইটে ভ্যাটের হার ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা। জুলাই থেকে সেটি কমে ৭০ পয়সা হবে। আমরা মনে করি, পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের সেই ইট ব্যবহারে উৎসাহ দিতে ভ্যাটের হার আরও কমানো দরকার।প্রথম আলো: দেশে কতগুলো অটো ব্রিক কারখানা আছে? তারা ইটের চাহিদার কত শতাংশ পূরণ করছে?বি এন দুলাল: সারা দেশে ১২০টি অটো ব্রিক কারখানা আছে। সবচেয়ে বেশি কারখানা ময়মনসিংহে। অবশ্য বর্তমানে ১০৭টি কারখানা চালু আছে। প্রতিটি কারখানায় গড়ে ২০০ শ্রমিক কাজ করেন। একেকটি কারখানায় বছরে ২ কোটি থেকে ৩ কোটি ইট তৈরি হয়। তারপরও দেশের মোট চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ ইট সরবরাহ করতে পারে অটো ব্রিক কারখানা। প্রচুর সম্ভাবনা থাকায় আবদুল মোনেম, আরএকেসহ আরও অনেক বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এই খাতে বিনিয়োগে এসেছে।প্রথম আলো: বাজেটে আপনারা আর কী সুবিধা চেয়েছিলেন?বি এন দুলাল: অটো ব্রিক কারখানা হোপম্যান ও টানেল-এই দুই পদ্ধতিতে করা যায়। হোপম্যান পদ্ধতিতে কারখানা করলে ১৩ থেকে ১৫ কোটি টাকা লাগে। আর টানেল পদ্ধতিতে লাগে কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা। অটো ব্রিকে বিনিয়োগে উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে আমরা সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ দেওয়ার দাবি করেছিলাম। সারা দেশে নিবন্ধিত ৭ হাজার সনাতন ইটভাটা থাকলেও বাস্তবে আছে সাড়ে ৯ হাজার। অটো ব্রিকশিল্প বড় হলে পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা সনাতন পদ্ধতির ইট ভাটা ধীরে ধীরে কমে আসবে।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: শুভংকর কর্মকার
407,947
আনিস মাহমুদ
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩৯
০২ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৫৪
ছবির গল্প,পাখি
0
পেখম মেলে ময়ূরের নাচন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1586590
সিলেটের টিলাগড় এলাকায় প্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্রে সব মিলিয়ে ময়ূর-ময়ূরী আছে ১০টি। ময়ূর Phasianidae (ফ্যাজিয়ানিডি) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত অত্যন্ত সুন্দর পাখি। ময়ূরের নাচ কিংবা পেখম মেলার দৃশ্য মুগ্ধ করে যে কাউকে। মনের আনন্দে কিংবা ময়ূরীকে আকৃষ্ট করার জন্য পুরুষ ময়ূর এভাবেই পেখম মেলে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ময়ূরের পেখম মেলার দৃশ্য দেখতে অপেক্ষা করেন। ময়ূরের পেখম মেলার দৃশ্য ১ এপ্রিল ধরা পড়ে প্রথম আলোর ক্যামেরায়। টিলাগড় প্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্রে গেলেই খাঁচায় দেখা মেলবে ময়ূরের এমন বাহারি নাচন।
396,308
-1
entertainment
বিনোদন
০৯ মার্চ ২০১৭, ০০:০১
০৯ মার্চ ২০১৭, ০১:১২
আনন্দ,বলিউড,হলিউড
0
টপচার্ট
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1101613
হলিউড১. লোগান (হিউ জ্যাকম্যান, প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট)২. গেট আউট (দানিয়েল ক্যালুইয়া, অ্যালিসন ওইলিয়ামস)৩. দ্য শ্যাক (স্যাম ওরদিংটন, ওক্টাভিয়া স্পেনসার)৪. দ্য লেগো ব্যাটম্যান মুভি (উইল অরনেট, জ্যাক গ্যালিফিনাকিস)৫. জন উইক: চ্যাপ্টার টু (কিয়ানু রিভস, কমন)সূত্র: বক্সঅফিস মোজোবলিউড১. কমান্ডো টু (বিদ্যুৎ জামাল, আধ শর্মা)২. লোগান (হিউ জ্যাকম্যান, প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট)৩. রেঙ্গুন (শহিদ কাপুর, সাইফ আলি খান, কঙ্গনা রনৌত)৪. জলি এল এল বি টু (অক্ষয় কুমার, হুমা কুরেশি)৫. দ্য গাজি অ্যাটাক (রানা দাগুবাতি, কে কে মেনন, তাপসি পান্নু, অতুল কুলকার্নি)সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা
301,191
ইফতেখার মাহমুদ
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ আগস্ট ২০১৬, ০১:২৯
০২ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩০
-1
0
গমের ব্লাস্ট রোগের জীবাণু ধানেও ছড়াতে পারে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/932809
গমের ফলন উজাড় করে দেওয়া ‘ব্লাস্ট’ রোগের ছত্রাক জীবাণু ধানগাছেও ছড়াতে পারে। একদল জার্মান গবেষক সম্প্রতি গবেষণাগারে পরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। তবে এটি কৃষকের মাঠে বা উন্মুক্ত স্থানে এখনো পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। গমের ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত যেসব দেশে ধান চাষ হয়, সেসব দেশে মাঠপর্যায়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করার সুপারিশ করেছে গবেষক দলটি।বাংলাদেশে গত বছর প্রথমবারের মতো গমের ব্লাস্ট রোগের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। গত বছর দেশের সাতটি জেলায় এ রোগে আক্রান্ত ফসলের ৯০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়।গত ২৬ আগস্ট নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে গমের ব্লাস্ট রোগবিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় জার্মানির গোটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তাঁদের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন। কর্মশালাটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় তা নেপালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গমের ব্লাস্ট রোগের জীবনরহস্য উন্মোচনকারী বিজ্ঞানী অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম ও জিন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী কাঠমান্ডুর ওই কর্মশালায় বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় গম গবেষকেরা ব্লাস্ট রোগ নিয়ে তাঁদের গবেষণা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, গমের ব্লাস্ট রোগ ধানে ছড়ায় কি না তা পরীক্ষা করতে ইতিমধ্যে তাঁরা গবেষণা শুরু করেছেন। গত বছর গমের ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত জেলাগুলো থেকে তাঁরা ১১টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ওই নমুনা থেকে ব্লাস্ট রোগের জন্য দায়ী গমের নমুনা সংগ্রহ করে তা ধানগাছে ছড়ায় কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেই পরীক্ষার আংশিক ফলাফলে সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গমের ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ার পর গোটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের গবেষক আন্ড্রিয়াস ফন টিডেমেনের নেতৃত্বে চারজন গবেষক তাঁদের গবেষণাটি শুরু করেন। এত দিন মূলত ব্রাজিল, বলিভিয়া, আর্জেন্টিনাসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ হতো।এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীর খাদ্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত এশিয়ায় প্রথমবারের মতো রোগটির আক্রমণ হয়। এর পরই বিশ্বের গম বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশ থেকে যাতে এই রোগ ভারতসহ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে না পড়ে এবং ধানসহ অন্য দানাদার শস্যে যাতে না ছড়ায়, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. আবদুল লতীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গমের ব্লাস্ট রোগের জীবাণু ধানে আক্রমণ করার কোনো নজির আমরা পাইনি। তবে ওই জার্মান গবেষক যেহেতু বিষয়টি তুলে ধরেছেন, আমরা এই আশঙ্কাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত গমের যে ১১টি নমুনা নিয়ে কাজ করছি, তার একটি থেকে ফলাফল পেয়েছি। তাতে গম থেকে ওই জীবাণু ছত্রাক ধানে ছড়ানোর কোনো প্রমাণ পাইনি। তবে বাকিগুলো পর্যবেক্ষণ করে এ ব্যাপারে আমরা শতভাগ নিশ্চিত হতে পারব।’জার্মান গবেষক এটিয়েনে ডুবেইলারের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন হাউসের মধ্যে পাশাপাশি গম ও ধানের গাছ রোপণের পর মাস খানেকের মধ্যে গমগাছ থেকে ব্লাস্ট রোগের জন্য দায়ী ছত্রাক ধানগাছে ছড়িয়ে পড়েছে। ধানের পাতা ও ধানের দানার কোষ পর্যায়ে ওই ছত্রাক ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। ধীরে ধীরে গমের মতো ধানের পাতা কালো হয়ে পুড়ে যেতে ও দানা শুকিয়ে যেতে দেখা গেছে।এ ব্যাপারে অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রিন হাউসে যেহেতু গম থেকে এই রোগে ধানে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে, সেহেতু অবশ্যই আমাদের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। আমরা এই ঝুঁকির বিষয়টিকে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছি।’জিন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, ধানে এই রোগ ছড়াতে পারে, এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং বিষয়টি নিয়ে দ্রুত দেশ-বিদেশের গবেষকদের দিয়ে গবেষণা করানো উচিত। যাতে এ নিয়ে কোনো ঝুঁকি থাকলে তা মোকাবিলা করা যায়।
245,813
আনিসুল হক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৪৩
১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৩১
বিজয় দিবস সংখ্যা
0
মায়ের কাছে ফেরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1387861
একাত্তরের বীরশ্রেষ্ঠরা বাংলাদেশের চিরকালের নায়ক। মুক্তিযুদ্ধের সেসব রুদ্ধশ্বাস সমরে তাঁদের বীরোচিত আত্মত্যাগ আমাদের চিরন্তন প্রেরণা জোগায়।হামিদুর ছেলেটা গায়েগতরেই বেড়েছেন। পেশল বাহু, চিতানো বুক, পেটানো হাত-পা। নাকের নিচে গোঁফের রেখা। আসলে তো কিশোরই। বয়স কত হবে? ১৮? কিংবা এক বছর কম বা বেশি। মনের বয়সে তিনি কিশোরই রয়ে গেছেন।ক্যাপ্টেন কাইয়ুম বলেন, ‘সিপাহি হামিদুর।’‘স্যার।’হামিদুর ক্যানভাসের জুতা মাটিতে ঠুকে স্যালুট দেন। নামের আগে সিপাহি পরিচয়টা তাঁকে খুশি করে তোলে।‘তোমার হাতের ডাল রান্নাটা কিন্তু পৃথিবীর এক নম্বর। আমাদের লঙ্গরখানার বাবুর্চি আক্কেল আলীর ডাল যা হয়, তাকে ঠিক পাক করা বলে না। ওটা হলো ঘুঁটা। তোমারটা হলো পৃথিবীর এক নম্বর। কী বলো?’‘স্যার। সিপাহি আপনার কথায় একটুখানি ওজর-আপত্তি করে স্যার।’‘আমার কথায় ওজর! বলো কী!’‘আপনি পারমিশন দিলে বলতে পারি স্যার।’‘পারমিশন দিচ্ছি। বলো। শুনি তোমার কী আপত্তি!’সিপাহি হামিদুর তাঁর হাত দুটো একত্র করেন। বিনয়ের ভঙ্গি আনেন চেহারায়। হাত কচলাতে কচলাতে বলেন, ‘স্যার, পৃথিবীর সেরা ডাইলটা পাক করে আমার মা। আমার মায়ের হাতের পাক করা ডাইল যদি খেতেন, তাহলে স্যার কী যে বলতেন। জান্নাতি সুবাস। মায়ের হাতের ডাইলের কোনো তুলনা হয় না স্যার। আল্লাহ বাঁচি থুলে দেশ স্বাধীন হলে আপনাকে খাওয়াব স্যার। আপনার কথা মাকে কত বলিছি। মা অনেক দোয়া করিছেন। বলেছেন, তোর স্যারের এক শ বছর পরমায়ু হবে। নেকদার আদমি।’‘তাহলে তুমি বোধ হয় ডাল পাক করার কায়দাটা মায়ের কাছ থেকেই শিখেছ। তোমার রান্নার হাতও খুব ভালো।’‘স্যার। সেটি হয়তো ঠিক কয়ে থাকবেন। আমার মা তো পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে। চব্বিশ পরগনার ডুমিয়া থানার চাপড়া গ্রামে ছিলেন তাঁরা। পাকিস্তান হওয়ার পর ইন্ডিয়া থেকে এই পারে চইলে এসেছেন। আসার সময় আর তো কিছু সাথে করে আনতে পারেননি। ডাইল আর লাবড়া পাক করার কায়দাকানুন সাথে করে এনেছেন।’ বলে সিপাহি হামিদুর হাসেন। তাঁর দাঁতগুলো ঝকঝকে। তাঁর কচিমুখে দাঁতগুলোকেই সবচেয়ে বেশি করে চোখে পড়ে। আর হাসলে তাঁর চোখের তারাও ঝিলিক তোলে। ক্যাপ্টেন কাইয়ুম স্নেহের চোখে তাকান। দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসতে চাইছে। সেটা তাঁকে চেপে ধরতে হবে। তিনি সৈনিক। আছেন যুদ্ধের ময়দানে। এখানে মায়া-মমতার স্থান যে নেই বললেই চলে।ত্রিপুরার এক পাহাড়ের ঢালে তাঁদের ক্যাম্প। একটা মিউনিসিপ্যাল অফিসের লাগোয়া দুটো টিনে ছাওয়া পাকা ঘর। তারই পাশে ঘন গাছগাছালির আড়ালে তাঁবু। সেই তাঁবুর রংও ধূসর। দূর থেকে দেখে কেউ বুঝবে না এখানে ক্যাম্প গাড়া হয়েছে। মাঠে সবুজ ঘাস। এই এলাকায় বৃষ্টি হয় খুব বেশি। পশ্চিম দিকে শ্রীমঙ্গল। চা-বাগান সীমান্তের ওপার-এপার—দুই পারেই। সমান মাপে কাটা চা-বাগানের মাথার ওপারে ছায়াবৃক্ষের সারি।পশ্চিমাকাশে কে যেন হলদি গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়েছে। অস্তরাগ এসে পড়েছে হামিদুর রহমানের মুখের এক পাশে। চুলের এক পাশটায় রঙিন আলো ওর মুখে শৈশবের লালিত্যকে উসকে দিতে চাইছে। কিন্তু তাঁর শক্ত চোয়াল ফুটিয়ে তুলতে চাইছে সৈনিক জীবনের দৃঢ়তা। অবরুদ্ধ দেশকে শত্রুমুক্ত করতে তাঁরা লড়ছেন। ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়ে তাঁরা প্রায়ই ঢুকে পড়ছেন দেশের ভেতরে।হামিদুর বলেন, ‘স্যার। আপনার কথা শুনে আমার আরেকটা কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে। বলি?’‘বলো।’ কাইয়ুম বসে আছেন একটা টিপয়ের ওপর। মিউনিসিপ্যাল ঘরটার বারান্দায়। হামিদুর রহমান মাঠে।হামিদুর বলেন, ‘স্যার। আপনি বললেন না পাক করার কায়দার কথা। আমার মায়ের নামও স্যার কায়দা।’কাইয়ুম বলেন, ‘মানে?’‘আমার মায়ের নাম স্যার কায়েদাতুননেসা। তাইলে স্যার কায়দাই হলো না?’‘তা হলো।’‘আর তোমার বাবার নাম?’‘আমার পিতার নাম স্যার আক্কাস আলী মণ্ডল।’‘তার দ্বারা কী বোঝা গেল?’‘স্যার?’‘তার দ্বারা বোঝা গেল, তোমার পিতা মোড়ল ছিলেন।’‘না স্যার। জমিজমা কিছু নাই। সে আমাদের দাদা-দাদার দাদার কোনো দিন কিছু ছিল কি না, তা তো জানি না। কিন্তু আমাদের স্যার কিছু নেই তো। বাবা তো দিনমজুরি করে খায়। এই ধরেন আমাকে নিয়েই তাদের যত আশা। আমি তো স্যার বলেছি, তোমাদের চিন্তা করতে হবি না নে, আমার স্যার আছেন। আমাকে তিনি রান্নার কাজ থেকে প্রমোশন দিয়ে সিপাহি করেছেন। তোমরা দোয়া করো। দেশ স্বাধীন হলে তোমাদের অভাব থাকবি নে। কারও অভাবই থাকবে না। আমিও তো সিপাহি হয়েই গিয়েছি। দেশ স্বাধীন হলে স্যার মানুষ কি আর না খেয়ে কষ্ট পাবি স্যার?’‘না। তা কেন পাবে?’‘স্যার, মা বলিছেন, মা আপনের জন্যি অনেক দোয়া করেন। নামাজের শেষে নামাজের জায়গায় বসেই দোয়া করেন।’‘কবে বললেন তিনি তোমাকে এত কথা?’‘আমি স্যার গেলাম না মার্চ মাসের শেষের দিকে। চট্টগ্রাম থেকে চলে গেলাম তো ঝিনাইদহে। সেখান থেকে ধরেন আমাদের কালীগঞ্জের খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে। অল্পের জন্যে না সেই রাতে বেঁচে গেলাম। আপনিও বাঁচলেন, আমাদেরও বাঁচালেন। আগে থেকেই তো বলে রেখেছিলেন যে ওরা আক্রমণ করার আগেই আমরা রিভল্ট করব। তবু তো স্যার কত বাঙালি জওয়ান আর অফিসারকে পাঞ্জাবিরা মেরে ফেলল। আমরা না হয় আপনার অর্ডারে আর বুদ্ধি-বিবেচনায় সটকে যেতে পারলাম। তবে স্যার আমি প্রথমে বাড়ি গিয়েছিলাম।’‘ভ্যাবাচেকা খেয়ে গিয়েছিলে। তাই আমাদের বিদ্রোহী দলে না এসে ঝিনাইদহ চলে গেলে।’হামিদুর লজ্জা পান। গোধূলির আলোয় তাঁর মুখখানা আরও লাজরাঙা হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘না। ভ্যাবাচেকা খাই নাই। মায়ের মুখটা মনে পড়ে গেল। ঝিনেদাতে স্যার মুজাহিদ বাহিনীতে জয়েন করেছিলাম। লেখাপড়া তো বেশি দূর করিনি। ক্লাস ফাইভ পাস দিয়েছি। পরে গিয়েছিলাম হাইস্কুলে। পড়াশোনা করার সামর্থ্য তো ছিল না স্যার। বাবা দিনমজুর। বোঝেনই তো। জয়েন করলাম মুজাহিদ বাহিনীতে। সেখানেই দেখি, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা ট্রেনিং করছে। কী সুন্দর মার্চ করে, পিটি-প্যারেড করে। খোঁজখবর নিয়ে আমিও জয়েন করে ফেললাম। সেখান থেকে ট্রেনিং করতে চলে গেলাম চট্টগ্রামে। ট্রেনিং আর কী। খালি গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর। শেখ সাহেব তো দেশ স্বাধীন করে ফেলবেই। পাঞ্জাবিরা বিদায় নিবে। যদি দরকার হয় আমরা হাতিয়ার হাতে নিব। শেখ সাহেব একবার হুকুম দিলেই হয়। প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। আমরা তো প্রস্তুত হয়েই ছিলাম স্যার। তাই ভ্যাবাচেকা খাই নাই। কিন্তু মায়ের মুখটা মনে পড়ল। মা তো স্যার। আমারে দেখতে চায়। চট্টগ্রামে মেস থেকে বের হব, দেখি হলুদ পোস্টকার্ড। মায়ের চিঠি। মা লেখাপড়া তেমন জানে না। তবু চিঠি লেখে। লিখছে, বাবা হামিদুর, তোমাকে কত দিন দেখি না। মনটা পোড়ে। দেশের পরিস্থিতিতেও তোমাকে নিয়া ভাবনা হয়। চিঠিটা পড়ে ভাবলাম, দেশের লাইগে যুদ্ধে তো যাবই। যাই, মায়ের মুখটা একটু দেখে আসি। মায়ের দোয়া হলো আসল দোয়া। কী বলেন স্যার।’‘নিশ্চয়ই।’‘আরেকটা প্রশ্ন ছিল স্যার।’‘আরও একটা প্রশ্ন! রাতের বেলা ডালটা তুমি রাঁধবে তো, হামিদুর?’‘অবশ্যই স্যার। ডাল রাঁধব। আজ রাতে রুটি না স্যার। ভাতই পাক করব স্যার। আপনে আমার হাতের পাক পছন্দ করেন। আপনি আমাকে বাবুর্চি থেকে সিপাহিতে প্রমোশন দিয়েছেন। আপনি যা বলবেন, আমি তা-ই করব স্যার। আপনি বললে এখনই জান দিয়ে দেব। ধরেন স্যার পাকিস্তানি ট্যাংক আসতেছে। আপনি বললেন, যাও হামিদুর, এই মাইন বুকে বেঁধে ট্যাংকের সামনে শুয়ে পড়ো। লাই ডাউন। আমি বলব, ইয়েস স্যার। থ্যাংক ইউ স্যার। জয় বাংলা। আমি আল্লাহর নাম নিয়ে শুয়ে পড়ব।’‘তা তুমি করবে আমি জানি।’‘চট্টগ্রামে ট্রেনিং একাডেমিতে আমাদের বাঙালি অফিসারদের আর জোয়ানদের স্যার ২৫ মার্চ রাতে যেভাবে ওরা পাইকারিভাবে ক্লোজ করে লাইন করে গুলি করেছে...আমাকে স্যার অর্ডার দেন, আমি এখনই চলে যাব...মাইন দেন...গ্রেনেড দেন...।’‘ঠান্ডা হও হামিদুর। এক দিনে লড়াইয়ে জেতা যায় না। একটা একটা করে ব্যাটল লড়তে হয়। অনেক ব্যাটলে তুমি সামনে এগোবে। অনেক ব্যাটলে পেছনে হটবে। আসলে তুমি জিততে চাও ওয়ার। রাইট?’‘ইয়েস স্যার।’‘তোমার প্রশ্নটা কী ছিল যেন?’‘স্যার। কঠিন একটা কথা বলব স্যার। রাগ করবেন না। মাতৃভূমি জিনিসটা কী স্যার। মাতৃভূমি মানে সবাই বলে মায়ের ভূমি। মাতৃভাষা সবাই বলে মায়ের ভাষা। আমার মায়ের ভূমি তো স্যার ইন্ডিয়া। আবার আমার দেশ তো বাংলা।’সূর্যের আলো কমে আসছে। আকাশে ঝাঁক বেঁধে পাখিরা ঘরে ফিরছে। আর্মি ব্যাটালিয়নের মতো একজন তার পিছে দুজন তার পিছে তিনজন—এই অর্ডারে পাখিরা উড়ছে। মাথার ওপরে একটা কামরাঙাগাছ। টিয়া পাখি ঝাঁক বেঁধে হল্লাচিল্লা করা শুরু করেছে।ক্যাপ্টেন কাইয়ুম বলেন, ‘শোনো। তোমার প্রশ্নের উত্তরটা আমি আগে থেকে জানি। তাই উত্তরটা দিতে পারলাম। মাতৃভূমি মানে মায়ের ভূমি নয়। মাতৃভূমি মানে দেশ আমার মা। মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা নয়। মাতৃভাষা মানে ভাষা আমার মা।’সিপাহি হামিদুর রহমান, সৈনিক নম্বর ৩৯৪৩০১৪, হাঁ করে শোনেন।‘ধন্যবাদ স্যার। আমি আমার মনের মধ্যে উথালপাতাল করা সওয়ালের জওয়াব পেয়ে গেছি।’‘কী পেলে?’‘বাংলাদেশ আমার মা স্যার। আমার মা আজ বন্দিনী। তাকে মুক্ত করাই আমার কাজ। এই জন্য নিজের জীবন দান করতে পারা গৌরবের কাজ হবে স্যার। আমার মা কায়েদাতুননেসাও তাইলে খুশি হবেন।’‘যাও হামিদুর। আজকের রাতের খাবার রান্নাটা তুমি একটু টেককেয়ার কোরো।’‘স্যালুট স্যার। আমি নিজ হাতে পাক করব স্যার।’হামিদুর লঙ্গরখানার দিকে যান। স্যারের জন্য তিনি আজকে ভাত রাঁধবেন। মুরগি জোগাড় করতে হবে। এই শিবিরে খাবারের অবস্থা তেমন ভালো নয়। রাতে দুটো করে রুটি আর খোসাসমেত ডাল। দুপুরে ভাত আর সবজি। মাছ বা মুরগি সপ্তাহে দুই দিন। নিজেদের প্রতিদিনের ভাতা থেকে চাঁদা দিয়ে তাঁরা মাঝেমধ্যে একটু ভালো খাওয়ার চেষ্টা করেন। কাইয়ুম বলেন, খাওয়া ভালো দরকার সৈনিকদের। তাহলে তারা যুদ্ধটা ভালোমতো করতে পারবে।অক্টোবর মাস। ২৮ তারিখ। হেমন্তের এই দিনেই এবার শীত পড়েছে ভয়ংকর। সারা রাত কুয়াশায় ঢাকা থাকে চা-বাগান, ছায়াবৃক্ষ আর পাহাড়ের ঢাল ভরে থাকা বিচিত্র বৃক্ষরাজি। এরই ফাঁক দিয়ে বয়ে যায় স্রোতস্বিনী পাহাড়ি ঝরনা। দুপুরের দিকে রোদ পড়লে দূর থেকে মনে হয় গলে যাওয়া রুপার বিছা যেন কোনো পাহাড়ি রমণীর শ্যামল কোমর ঘিরে ঝকমক করছে।সীমান্তের ওপারে শ্রীমঙ্গলের ধলুই। সেখানে পাকিস্তানি পোস্ট। ওই পোস্ট আক্রমণ করা হবে। দখলমুক্ত করা হবে ধলুই। সেখানে উড়বে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-হলুদ-সবুজ পতাকা।ক্যাপ্টেন কাইয়ুমের নেতৃত্বে চলেছে মুক্তিবাহিনীর দল। কুয়াশার আড়ালে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপারে যাওয়া সহজ হবে। ওরা টেরও পাবে না। তিন দিক থেকে ঘিরে ধরবে ওরা শত্রুদের। পেছনের দিকটা খোলা রাখবে যাতে শত্রুরা পশ্চাদপসরণ করতে পারে।তাদের হাতে অস্ত্র, গোলাবারুদ আছে পর্যাপ্ত। এই যুদ্ধে জয়লাভ না করার কোনো কারণ নেই। তবে যথাসম্ভব বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।তাদের মুক্তিসেনার দলে এবার থাকছেন সিপাহি হামিদুরও। রান্নার কাজ থেকে প্রমোশন দিয়ে তাঁকে কাইয়ুম তাঁর রানার বানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমে মুজাহিদের ট্রেনিং পাওয়া আর পরে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ট্রেনিং তাঁর মনোবল আর সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি তাই সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেওয়া শুরু করেছেন। কোদালকাঠির যেখানে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষাব্যূহ, সেখানে কদিন আগে হঠাৎ আক্রমণ করেছিল পাকিস্তানিরা। মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানি সৈন্যদের লড়াই হলো। সেই লড়াইয়ে হামিদুর ভালো করেছেন। অল্প বয়স, শরীর-স্বাস্থ্য সুঠাম আর বেসিক ট্রেনিং অনেক এফএফের চেয়ে ভালো। যোদ্ধা হিসেবে তাই তাঁর ভালো করারই কথা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাঁর সাহস আছে, তিনি কথা শোনেন, যা বলা হবে তা-ই পালন করবেন। এমন সৈনিকই তো অধিনায়কদের প্রথম পছন্দের।কুয়াশার চাদরে ঢেকে তাঁরা ধীরে ধীরে পা রাখেন পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে। ধলুই পোস্টটার চারদিকে গাছগাছালি কেটে তারা পরিষ্কার করে রেখেছে। সেটা ১৬০০ বর্গগজের বেশি জায়গা নয়।কিন্তু তার চারপাশে চা-বাগান, পাহাড়ের চড়াই-উতরাই, গাছগাছালি প্রচুর। আক্রমণ করার জন্য আদর্শ জায়গা। অসুবিধা হলো, নিজেদের পোস্টটা পাকিস্তানিরা বানিয়েছে উঁচুতে। সেখান থেকে গুলি ছুড়লে নিচের আক্রমণকারীরা অসুবিধায় পড়বেই।তিন দিক থেকে ঘেরাও করে ফেলা সম্পন্ন। কাইয়ুম প্রথম ফায়ারটা করবেন। তারপর তিন দিক থেকে একযোগে প্রচণ্ড আক্রমণ করবেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রথমেই প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ করলে অনেক সময় কাজ হয়। শত্রুরা শক্তির প্রচণ্ডতা আঁচ করে সহজেই রণে ভঙ্গ দেয়।কিন্তু কুয়াশা এত নিচু হয়ে আছে যে ঠিকভাবে ওদের পোস্টটা দেখা যাচ্ছে না। গাছের ওপরে আলো ফুটে আছে। কিন্তু মানুষসমান উচ্চতায় কুয়াশা। তাঁরা সামনে কিছুই দেখছেন না।একটা উপায় আছে। একজনকে গাছে তুলে দেওয়া।তিনি ওপর থেকে দেখুন, ঠিক কোন জায়গায় পাকিস্তানি সৈন্যদের ঘাঁটিটা।একজন মুক্তিবাহিনীর ছেলে উঠে পড়েন গাছে, ‘স্যার, ঠিক এই বরাবর স্যার।’বলতে না-বলতেই শত্রু বাহিনী গুলি ছুড়তে শুরু করে। মুহূর্তেই গর্জে ওঠে কাইয়ুমের রাইফেল। আর তিন দিক থেকে শত্রু বাহিনীর গুলির উৎস অভিমুখে একযোগে পাল্টা গুলি চালাতে থাকে মুক্তিবাহিনী।উভয় পক্ষ গুলি চালাচ্ছে। কিন্তু মুক্তিবাহিনী এগোতে পারছে না। ওদের এলএমজি পোস্টটা বড় জ্বালাচ্ছে। ঠিকমতো বসিয়েছে তারা এলএমজি। সেই এলএমজির নাগালের মধ্যে কিছুতেই ঢোকা যাচ্ছে না।না, আর তো সহ্য করা যায় না। আজ যে করেই হোক, ধলুই তারা শত্রুমুক্ত করবেই।একটাই করণীয়।একজনকে সাহস দেখাতে হবে। ক্রলিং করে যেতে হবে পোস্টের একেবারে হাতের নাগালে। হ্যান্ডগ্রেনেড ছুড়ে মারতে হবে এলএমজি পোস্টের বাংকারে। তাহলেই নিষ্ক্রিয় হবে শত্রুর এলএমজি। তারপর ধলুই দখল মুহূর্তকয়েকের ব্যাপার।ক্যাপ্টেন কাইয়ুম তখন একটা নালার ভেতরে। দুপাশে নলখাগড়া, ঢোলকলমি, কলমিলতা, ধইঞ্চা, লজ্জাবতী, শটির ঝোপঝাড়। দু-একজন মুক্তিযোদ্ধার পায়ে জোঁক গেঁথে বসেছে। নলিনের কনুই ছিঁড়ে গেছে কাঁটা গাছে। রক্ত ঝরছে। কিন্তু যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে এগুলো কোনো খেয়াল করার মতো ব্যাপারই নয়।মাথার ওপর দিয়ে শাঁই করে শাঁই করে গুলি উড়ে যাচ্ছে।পাখিরা আর্তনাদ করে উড়ে উড়ে পালিয়ে যাচ্ছে যেদিকে পারে।কাইয়ুম বললেন, একজন সাহসী জওয়ান আমার দরকার। কে যাবে? এলএমজি পোস্টে যাবে পেছন দিক দিয়ে। ক্রল করে, চা-পাতা, ঝোপঝাড়ের আড়ালে দ্রুত। দুটো গ্রেনেড দিচ্ছি সঙ্গে। বাংকারের ভেতরে গ্রেনেড ছুড়তে হবে। এলএমজিটা থামিয়ে দিতে পারলেই উই উইল ব্রেক ইন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তিন দিক থেকে একযোগে ঢুকে যাব। ওদের বাকি লোকেরা তখন পালানোর পথ পাবে না। ওদের এলএমজি পোস্ট হবে আমাদের এলএমজি পোস্ট। কে যাবে?হামিদুর বললেন, ‘আমি যাব স্যার।’সময় নেই। দুটো গ্রেনেড দ্রুত তুলে দেওয়া হলো হামিদুরের হাতে।হামিদুর ক্রল করছেন গুইসাপের মতো। কিন্তু দ্রুত। চা-পাতা নড়ছে। বিষকাটালির ঝোপ দুলছে।ডান দিক থেকে হঠাৎ আক্রমণ। শত্রু বিভ্রান্ত।বাইনোকুলার দিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন কাইয়ুম। কুয়াশাটা কি আজকে যাবেই না, না যাওয়াই ভালো। তাহলে কুয়াশার আড়ালে হামিদুর পৌঁছে যেতে পারবেন শত্রুর পোস্টে।দ্রিম দ্রিম। দুটো গ্রেনেড চার্জের শব্দ।তারপর স্তব্ধতা। মানে এলএমজি পোস্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।এক দল মুক্তিবাহিনী ছুটে গেল এলএমজি পোস্টে। তখনো সেখানে ধোঁয়া উড়ছে।কিন্তু হামিদুর কই?এলএমজি পোস্টের ১০ গজ নিচে পড়ে আছেন হামিদুর। রক্তে তাঁর কাঁধ ভেসে যাচ্ছে। পেটের দিকটায় রক্তের বন্যা।কথা বলতে পারলেন না হামিদুর। স্তব্ধ হয়ে গেল সবকিছু।মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর দেহ কাঁধে তুললেন। নিয়ে এলেন তাঁকে আম্বাসার হাসিমারা ছড়ায়। ত্রিপুরা জেলায়।সেখানেই কবরস্থ করা হলো তাঁকে। কাঁচা মাটি দেওয়া হলো তাঁর দেহের ওপরে। দেশের মুক্তির জন্য তিনি শহীদ হয়েছেন।২৮ অক্টোবর যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তা শেষ হলো ১ নভেম্বর। ধলুই শত্রুমুক্ত হলো। সেখানে উড়িয়ে দেওয়া হলো স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।এরও বহুদিন পর হামিদুরকে মনে পড়ল কাইয়ুমের। মনে হলো, হামিদুর কি শেষ কোনো কথা বলতে চেয়েছিলেন অন্তিম মুহূর্তটিতে?একসময় হামিদুর তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, মাতৃভূমি কী। তিনি বলেছিলেন, দেশই হলো মা।হামিদুর কি মায়ের কাছে ফিরতে চেয়েছিলেন? তিনি কি চেয়েছিলেন তাঁর শেষ আশ্রয় হোক মায়ের কোলে? কবরটা হোক দেশের মাটিতে?শহীদ হওয়ার ৩৬ বছর পরে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের কবর উত্তোলন করে ত্রিপুরা থেকে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নেওয়া হয়।ক্যাপ্টেন কাইয়ুম—যিনি পরে মেজর হয়েছিলেন—তাঁর মনে হয়, হামিদুর তাঁর মায়ের কাছে ফিরে আসতে পেরেছেন।হামিদুর রহমানজন্ম২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩মৃত্যু২৮ অক্টোবর ১৯৭১জন্মস্থানখর্দ্দ খালিশপুর, মহেশপুর, ঝিনাইদহযোদ্ধা১ম ইস্ট বেঙ্গলের সি কোম্পানিযুদ্ধসিলেটের শ্রীমঙ্গলের ধলুই সীমান্তেপদবিসিপাহিসমাধিপ্রথমে ত্রিপুরার হাসিমারায়।পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে
348,132
প্রতিনিধি, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ জুন ২০১৮, ১৮:০১
২১ জুন ২০১৮, ১৯:০৩
অপরাধ
0
নান্দাইলে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1514861
ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত গৃহবধূর নাম মোছা. ইয়াসমিন (১৯)। নিহত নারী নান্দাইল পৌরসভার ঝাউগড়া মহল্লার মো. বাকি বিল্লাহর স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে।লাশ উদ্ধারকারী নান্দাইল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, তিনি খবর পেয়ে ঝাউগড়া মহল্লায় গিয়ে লাশটি উঠানে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। লাশের গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ দেখতে পান। কিন্তু প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, লাশটি ঘরে ঝোলানো অবস্থায় ছিল। ঘরের ভেতর বালতি ও জগ ইত্যাদি থাকতে দেখা গেছে। তবে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, ঘটনার সময় স্বামী বাকি বিল্লাহকে ঘরে দেখা গেলেও গৃহবধূর নিহত হওয়ার খবরে লোকজন আসতে থাকলে তিনি গা ঢাকা দেন।ইয়াসমিনের বাবা মো. সাইফুল ইসলাম নান্দাইল পৌর শহরের মুন্সিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি জানান, তাঁর মেয়ে পাঁচ-ছয় মাস আগে বাকি বিল্লাহর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। প্রথমে মানতে না পারলেও একপর্যায়ে তিনি এ বিয়েটি মেনে নেন। গতকাল বুধবার রাতে মেয়ে ও জামাইয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে তাঁর কথা হয়েছে।সাইফুল বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের দুজনের আমার বাসায় বেড়াতে আসার কথা ছিল। এ রকম অবস্থার মধ্যে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পাই। তাঁর কাছে মৃত্যুটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। এদিকে বাকি বিল্লাহ ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্যকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এসআই আবদুস ছাত্তার বলেন, এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
367,909
-1
entertainment
বিনোদন
২১ এপ্রিল ২০১৬, ০২:১০
২১ এপ্রিল ২০১৬, ০২:১১
বিনোদন
0
abc আজকের আয়োজন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/836419
এবিসি স্টুডিও লাইভ (পাওয়ার্ড বাই টিফিন বিস্কুট)রাত ৯টা থেকে ১১টাআরজে সুমন, রেহান ও কিবরিয়ার সঙ্গে‘ডর’ হন্টেড বাই প্রাণ মি. ম্যাঙ্গো ক্যান্ডিরাত ১২টা থেকে ২টা
222,125
শেরপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৩
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৩
বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন
0
শেরপুরের তিন পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/701178
শেরপুরের চারটি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। নালিতাবাড়ী, নকলা ও শ্রীবরদীতে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতা নির্বাচন করবেন।আওয়ামী লীগের স্থানীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন শেরপুর পৌরসভায় সাবেক মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, নালিতাবাড়ীতে পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, নকলায় উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ও শ্রীবরদীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সাইদ। এ ছাড়া শ্রীবরদীতে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুল্লাহ শাহী; নালিতাবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম ও বিএনপি নেতা শামছুল আলম সওদাগর এবং নকলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন।আলমগীর হোসেন ও আবদুল হালিম জানান, দল মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।বিএনপি সূত্র জানায়, দলের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন শেরপুরে সাবেক মেয়র ও জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক আশীষ, নালিতাবাড়ীতে বর্তমান মেয়র আনোয়ার হোসেন, নকলায় পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ও শ্রীবরদীতে উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ও বর্তমান মেয়র আবদুল হাকিম। এ ছাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিউল আলম ও আমির হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তাঁরা দুজন বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত। দুজনই নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন।
180,034
-1
economy
অর্থনীতি
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:০১
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৫৪
খবর
0
দ্য মেটালের বার্ষিক সম্মেলন
http://www.prothom-alo.com/economy/article/763033
আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বিশেষত ট্রাক্টর ও রোটারি টিলার বিপণন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান দ্য মেটাল (প্রা.) লিমিটেডের বার্ষিক সম্মেলন গত শনিবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাদিদ জামিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ও ট্যাফে ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও সিওও জি হরি এবং সিনিয়র এভিপি আর সুদর্শনসহ ট্যাফের একটি প্রতিনিধিদল। সম্মেলনে চারজনকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি।
199,954
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
২৯ নভেম্বর ২০১৬, ০২:০০
২৯ নভেম্বর ২০১৬, ০২:০৪
খেলা,দেশের ক্রিকেট
null
মিরাজের পর নাজমুল
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1030281
নাজমুল ইসলামের উদ্‌যাপনটা বেশ মজার। উইকেট পেলেই হাত দিয়ে ফণা তোলেন। তাঁর বোলিংয়ে যে আসলেই কিছু বিষ আছে, সেটি কাল টের পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। নাজমুলের অসাধারণ বোলিং আর মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে রংপুরকে ৪৯ রানে হারিয়েছে রাজশাহী কিংস।এমনিতে মিরপুরে সন্ধ্যার ম্যাচে খুব একটা রানবন্যা দেখা যায় না। রাজশাহীর দেওয়া ১২৯ রানও যে রংপুরের সামনে বিরাট বাধা হয়ে যাবে, অনুমান করা যাচ্ছিল। মিরাজ-নাজমুলদের ঘূর্ণিতে সেটি হলোও। রংপুর লক্ষ্যে পৌঁছাবে কী, ব্যাটসম্যানরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকল যাওয়া-আসায়।সৌম্য সরকারকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে রংপুরের ধস শুরু মিরাজের হাতে। রাজশাহী অলরাউন্ডার পরে তুলে নেন নাসির জামশেদকেও। তবে রংপুরের ব্যাটসম্যানদের কাছে সবচেয়ে বেশি দুর্বোধ্য ছিল নাজমুলের বোলিং। রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনার ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ১ মেডেনসহ নিয়েছেন ৩ উইকেট।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মিরাজকে দেখা গেছে দুর্দান্ত বোলার হিসেবে। বিপিএলেও তাঁকে শুধু বোলার হিসেবেই দেখা যাচ্ছে। তবে অনেক দিন পর ব্যাটসম্যান মিরাজকেও দেখা গেল কাল। আগের ৮ ম্যাচে ৬ ইনিংসে করেছেন ২০ রান। হতে পারে ব্যাটিং অর্ডারে বারবার পরিবর্তন আর ম্যাচ পরিস্থিতির কারণেই ব্যাটসম্যান মিরাজকে দেখা যায়নি এত দিন।রাজশাহীর বিপর্যয় কাল ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিল তাঁকে। যখন তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন, ৮.৪ ওভারে ৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে রাজশাহী। তাঁর সামনেই ফিরে যান দলের অন্যতম ভরসা সাব্বির রহমান। চ্যালেঞ্জিং স্কোর হবে কী, ৪৩ রানে ৭ উইকেট হারানো রাজশাহীর সামনে তখন অলআউট হওয়ার শঙ্কা! মিরাজের রান তখন ১।চাপের মুখে অসাধারণ খেলার সামর্থ্যটাই আরেকবার প্রমাণ করলেন মিরাজ। শুরুর দিকে কোনো বাউন্ডারি মারার ঝুঁকি নেননি। এক-দুই করে স্ট্রাইক রোটেট করেছেন। প্রথম বাউন্ডারিটা তৃতীয় বলে মারলেও পরেরটির জন্য অপেক্ষা করেছেন ২৩ বল। মিরাজ সবচেয়ে আক্রমণাত্মক হয়েছেন রুবেল হোসেনের করা শেষ ওভারে। প্রথমে স্কুপে চার, পরের বলেই উড়িয়ে মেরেছেন লং অফ দিয়ে। শেষ পর্যন্ত রাজশাহী অলরাউন্ডার অপরাজিত ৩৩ বলে ৪১ রান করে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ।এক প্রান্তে মিরাজ, আরেক পাশে জ্বলে ওঠেন ফরহাদ রেজা। ৩২ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে তাঁর চার-ছক্কা সমান, দুটি করে। মিরাজ-ফরহাদের অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে ৬৪ বলে এসেছে ৮৫ রান। শেষ চার ওভারে ৫০ রান তোলায় লড়াইয়ের স্কোর পেয়েছে রাজশাহী।এই জয়ে শেষ চারের আশাটা আরেকটু উজ্জ্বল হয়েছে রাজশাহীর।সংক্ষিপ্তস্কোররাজশাহীকিংস: ২০ ওভারে ১২৮/৭ (মুমিনুল ৯, জুনায়েদ ২, সাব্বির ১৬, প্যাটেল ২, হাসান ২, আকমল ১, স্যামি ৫, মিরাজ ৪১*, ফরহাদ ৪৪*; সোহাগ ০/১৮, রুবেল ১/৩৮, সানি ৩/৩১, আফ্রিদি ২/১০, ডসন ১/২৭)।রংপুররাইডার্স: ১৭.৪ ওভারে ৭৯ (শেহজাদ ১২, সৌম্য ১, মিঠুন ২০, জামশেদ ১, ডসন ২, আফ্রিদি ৭, জিয়া ৫, সোহাগ ৮, মুক্তার ৫, সানি ৯, রুবেল ১*; সামি ১/৭, ফরহাদ ০/২০, মিরাজ ২/১২, নাজমুল ৩/৮, প্যাটেল ১/১৮, হাসান ৩/১১)।    ফল: রাজশাহী কিংস ৪৯ রানে জয়ী।ম্যানঅবদ্যম্যাচ: মেহেদী হাসান মিরাজ।
269,596
কুড়িগ্রাম অফিস ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ জুন ২০১৫, ০১:৩৬
২১ জুন ২০১৫, ০১:৩৯
গাইবান্ধা,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,কুড়িগ্রাম
0
অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/558694
যমুনা নদীর ভাঙনে দুই সপ্তাহে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠসহ অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, অসংখ্য গাছ ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই গ্রামের দেড় শতাধিক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। এদিকে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি দুই দিন ধরে আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলায় ভাঙন শুরু হয়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের কামারপাড়া ঈদগাহ মাঠ, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, অসংখ্য গাছ ও আবাদি জমি যমুনার গর্ভে বিলীন হয়েছে। কামারপাড়া গ্রামে ভাঙনের কারণে ফুলছড়ি-বরমতাইর সড়ক হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে ভাঙনের ভয়ে অনেকেই তাঁদের ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গৃহহীনেরা সরকারি জায়গা ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নলকূপ বিলীন হওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে ফুলছড়ি ডিগ্রি কলেজ, ফুলছড়ি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, একটি মন্দিরসহ শতাধিক ঘরবাড়ি হুমকির সম্মুখীন। কামারপাড়া গ্রামের কৃষক মতি ঘোষ (৪৫) বলেন, ‘দুই সপ্তাহে যমুনার ভাঙনে আমার তিনটি ঘর ও বসতভিটা বিলীন হয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’ একই গ্রামের কৃষক জহুরুল মিয়া (৫০) বলেন, ‘সাত দিন আগোত হামরা গেরেসতো আচিনো। হামারঘরে জমাজমি, বাড়িভিটা সউগ আচিলো। নদী ভাঙ্গি সাত দিন পরে হামারঘরে কিচুই নাই। কামলার কাম না করলে পেটোত ভাত যাবার নোওয়ায়।’ তিনি বলেন, ‘বাড়িঘর ভাঙি যাওয়ায় হামরা সোরকারি জাগাত আচি।’ একই গ্রামের সম্ভনাথ কর্মকার (৪২) বলেন, ‘হামরা কিচু চাইনে, ভাঙার হাত থাকি হামারঘরোক বাঁচান।’গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনোতোষ রায় বলেন, প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট এলাকা বিলীন হচ্ছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে অল্প দিনের মধ্যেই গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বিষয়টি পাউবোকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এদিকে ১৮ জুন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সাংসদ ফজলে রাব্বি মিয়া কামারপাড়া গ্রামের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, ওই গ্রামে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাউবোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আউয়াল মিয়া বলেন, কামারপাড়া এলাকার ভাঙন ঠেকাতে দুই দফায় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে নদীর তীরে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ স্থাপনের কাজ চলছে।এদিকে কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী আংশিক) আসনের সাংসদ রুহুল আমিন গতকাল শনিবার রৌমারীর যাদুচর ও চিলমারীর অষ্টমীর চরে ভাঙন ও বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। রুহুল আমিন বলেন, পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমার বড় ভাই সাবেক সাংসদ মরহুম গোলাম হোসেনের বাড়ি ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে। তাঁর কবরস্থান বিলীন হওয়ার পথে। এ ছাড়া রাজীবপুর, অষ্টমীর চরে অনেক এলাকা ভাঙছে। কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর, নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া, চিলমারীর কাচকোল, জোড়গাছ ও উলিপুরের বজরায় ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। এ ছাড়া বঙ্গসোনাহাট ব্রিজের পশ্চিম অংশ ও কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী সড়ক ভাঙনের মুখে পড়েছে। কুড়িগ্রাম পাউবো সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার বিকেল ছয়টার আগের ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রে ৬ সেন্টিমিটার, দুধকুমারে ৮ সেন্টিমিটার, তিস্তায় ১৫ ও ধরলায় ২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানি বাড়ার ফলে এসব নদ-নদীর অববাহিকা এবং চর-দ্বীপচরের মানুষ আবার ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে। অপরদিকে জিঞ্জিরাম, কালো ও ধরণী নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনো রৌমারী উপজেলার ৬২টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। পানিতে ডুবে আছে কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক। পানিবন্দী রয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
146,736
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৬
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৭
কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,দুর্ঘটনা
0
নিজের রাইফেলের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল আহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/459373
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় গতকাল রোববার নিজের রাইফেলের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল মিথুন দাশ (২৮) আহত হয়েছেন।টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, গতকাল পুলিশের একটি দল কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল। বেলা ১১টার দিকে হোয়াইক্যং এলাকায় গাড়ির ঝাঁকুনিতে মিথুন দাশের রাইফেলে চাপ পড়ে গুলি বেরিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহামদ জানান, মিথুন দাশকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এসবি শর্মা জানান, গুলি মিথুন দাশের পেট দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
117,775
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ মার্চ ২০১৬, ০১:৪২
২২ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৩
বিশাল বাংলা
0
সম্মাননা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/806200
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর রাহে ভান্ডার দরবার শরিফের উদ্যোগে গতকাল সোমবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘মহাত্মা সম্মেলনে’র আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি, রাহে ভান্ডার এনোবল অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলনের উদ্যোক্তা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ আবু জাফর শাহ। সম্মেলনে ১০ গুণীজনকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার, সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
213,179
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৩
২৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৬
রাজধানী (জাতীয়)
0
স্মৃতিফলকে শহীদ স্মরণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1376296
চারটি স্তম্ভের প্রতিটির এক পাশে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আলোকচিত্র ও পরিচিতি। দুটি স্তম্ভের এক পাশে হলভিত্তিক শহীদ শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা, একটিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পরিবারের শহীদ সদস্যদের তালিকা আর একটিতে কর্মচারী পরিবারের সদস্যদের তালিকা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে এমনই এক শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়েছে। কলাভবন, বটতলা, অপরাজেয় বাংলাসহ এই এলাকার বিভিন্ন স্থাপনার সৌন্দর্যবর্ধন ও সংস্কারের পাশাপাশি এই স্তম্ভটিও উদ্বোধন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কলাভবন চত্বরে এক অনুষ্ঠানে এটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।শ্বেতপাথরে নির্মিত এই স্মৃতিফলকে শহীদ শিক্ষকদের মধ্যে অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, মুনীর চৌধুরী, গোবিন্দচন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য, মুহম্মদ আনোয়ার পাশা, মো. আবুল খায়ের, সিরাজুল হক খানসহ ২০ জনের ছবি স্থান পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের তালিকায় ১০৫ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও রাখা হয়েছে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ঐতিহাসিক কলাভবনের প্রাঙ্গণের সৌন্দর্যবর্ধন ও শহীদদের স্মরণে যে স্মৃতিফলক করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর প্রভাব পড়বে। সুন্দর পরিবেশ তাঁদের ভালো মনন তৈরিতে সাহায্য করবে।এই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে আর্থিক সহযোগিতায় ছিল এসিআই লিমিটেড। প্রসঙ্গটি তুলে উপাচার্য বলেন, এটি ঐতিহাসিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার একটি প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে এই প্রচেষ্টা সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দ্দৌলা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাতে বাঙালি জাতি তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তাঁদের এই ত্যাগের অপরিসীম মহিমাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এই স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে।কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং এসিআইয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলাভবন সংস্কারের পাশাপাশি এর সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে সেখানে স্মৃতিফলক নির্মাণ, ফোয়ারা, বটতলায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।
346,297
-1
economy
অর্থনীতি
২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৫
২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪৭
খবর,প্রতিষ্ঠানের খবর
0
এসিআই ক্রপ কেয়ারের কনক্লেভ
http://www.prothom-alo.com/economy/article/844240
এসিআই ক্রপ কেয়ারের কনক্লেভ সম্প্রতি কক্সবাজারের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন সারা দেশ থেকে আসা প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৪০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুস্মিতা আনিস কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। এসিআই ক্রপ কেয়ারের ব্যবসার সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে বিজনেস প্রেজেন্টেশন দেন মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বাস মো. সাইফুল্লাহ্। বিজ্ঞপ্তি।
224,854
পাবনা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৬
২৮ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৭
পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
শক্তভাবে মাঠেই আছেন আ.লীগের বিদ্রোহীরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/812026
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হলেও মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। এতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভক্তি। অন্যদিকে অধিকাংশ ইউনিয়নেই একক প্রার্থী নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বিএনপি।উপজেলার পুংগলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচনে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুকুল হোসেন সরকার। আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান। ফলে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়নটিতে বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম।আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলাম। ষড়যন্ত্র করে এবার আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ইউনিয়নবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছি।’ দল থেকে বহিষ্কারের বিষয় নিয়ে নির্বাচনের পড়ে জবাব দেওয়া হবে বলে জানান আব্দুল মান্নান।বনওয়ারী নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে তাঁর বিপক্ষে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম। অন্যদিকে বিএনপি থেকে লড়ছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান। এখানে বিএনপি থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন কবির উদ্দীন সরকার।আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যিনি প্রার্থী, তাঁর বিষয়টিও দলই দেখবে।’ফরিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সরওয়ার হোসেন। দলীয় কোনো পদবি না থাকলেও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান সরকারের ভাগনে। বিদ্রোহী হয়ে তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল। আব্দুল জলিল বলেন, ‘কোনো রাগ-ক্ষোভ না। ইউনিয়নবাসী চাওয়ায় নির্বাচনে লড়ছি।’ফরিদপুর ইউনিয়নে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। ঐক্যজোট থেকে মনোনীত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর রবিউল করিম। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হিসেবে এলাকায় পরিচিত রমজান আলী।বিএলবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে লড়ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর।আব্দুল গফুর বলেন, ‘দলের জন্য আমার ত্যাগ রয়েছে। আমি প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখি। কিন্তু আমাকে প্রার্থী না করে উল্টো বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে এর জবাব দেওয়া হবে।’ ইউনিয়নটিতে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মল্লিক। ডেমরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী নেই। একক প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন মাহফুজুর রহমান। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুল মান্নান মণ্ডল। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মলয় কুমার কণ্ডু।মলয় কুমার কণ্ডু বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন করেনি। তবে ইউনিয়নবাসী করেছেন। তাই তাঁদের দাবিতে প্রার্থী হয়েছি।’ হাদল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের সদস্য জহুরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম ও মিজানুর রহমান। অন্যদিকে বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন রওশন আলী মোল্লা। তিনিও দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নির্বাচনের আগে দল ত্যাগ করে বিএনপির মনোনয়ন নিয়েছেন। বিদ্রোহীদের প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান সরকার বলেন, এরই মধ্যেই দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা এখন আওয়ামী লীগের কেউ না। পাবনা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপিতে কোনো বিদ্রোহী নেই। মনোনয়নপ্রাপ্তরা সবাই ভালো অবস্থানে আছেন। তবে আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের দাবি করছি।’
214,891
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ আগস্ট ২০১৭, ০১:৫৭
২৬ আগস্ট ২০১৭, ০১:৫৭
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
স্বামীর লাশের জন্য সাদিয়ার অপেক্ষা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1302451
এক বছর আগে সাদিয়া আক্তারের স্বামী শাহাদাত হোসেনকে (৩৫) তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। স্বামীর খোঁজ পেতে পুলিশের কাছে বহুবার ধরনা দিয়েছেন তিনি। গত মে মাসে জানতে পারেন স্বামী খুন হয়েছেন। তবে এখনো সন্ধান মেলেনি লাশের। স্বামীর লাশের অপেক্ষায় এখন দিন কাটছে সাদিয়ার। সন্তানদের বাবার কবরটা দেখাতে পারলেও সান্ত্বনা পেতেন তিনি।চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিয়া আক্তারের স্বামী শাহাদাত হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। এ ঘটনার তিন দিন পর ১৩ জুলাই সাদিয়া বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি চট্টগ্রামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শুরু করেন সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ। এরপর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. রানা, মো. সোহেল, মো. কালু ও মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।আসামি রানা গত ২৪ মে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, শাহাদাতকে হত্যা করে তাঁরা সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুরের পাহাড়ে মাটিচাপা দিয়েছেন। এরপর সিআইডি একাধিকবার ওই পাহাড়ে সন্ধান চালালেও শাহাদাতের লাশ পায়নি।চার সন্তানের জননী সাদিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বামীর অপহরণের পর দীর্ঘদিন তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলাম। দুই মাস আগে জানলাম তাঁকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো লাশ পাইনি আমরা। লাশের বদলে অন্তত এক টুকরো হাড় পেলেও কবর দিতাম। সন্তানদের বাবার কবর দেখাতে পারতাম।’মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ছলিমপুরের পাহাড়ে তন্ন তন্ন করে শাহাদাতের লাশ খোঁজা হয়েছে। পাওয়া যায়নি। ছলিমপুরের বিশাল পাহাড়ি এলাকায় আসামিরা ঘটনার পর বারবার লাশের স্থান পরিবর্তন করেছেন। এ জন্য লাশটি পাওয়া যাচ্ছে না।মুহাম্মদ শরীফ বলেন, সম্ভবত অপহরণের দিনই শাহাদাতকে খুন করা হয়। পাহাড় দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়েই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাহাদাতের বিরুদ্ধেও সীতাকুণ্ড থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও মারামারির ছয়টি মামলা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন ৮ থেকে ১০ জন। তাঁদের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাঁরা গ্রেপ্তার হলে শাহাদাতের লাশের সন্ধান মিলবে।
335,049
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১৭
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১৮
সোনারগাঁ,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
ফরম পূরণের বাড়তি টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/497908
সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত ফির টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মহজমপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এ বিক্ষোভ শেষে শ্রেণিকক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। জানা যায়, উপজেলার মহজমপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ফরম পূরণের সময় ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মানবিক বিভাগে বোর্ডের নির্ধারিত সরকারি ফি ১ হাজার ২৯৫ ও বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৩৯৫ টাকার পরিবর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে আদায় করে। উচ্চ আদালত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশের পর সোনারগাঁয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত জমা নেওয়া টাকা ফেরত দিলেও ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়নি। গতকাল দুপুর ১২টায় ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৬০ জন শিক্ষার্থী একত্র হয়ে প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের কক্ষসহ বিভিন্ন শ্রেণি থেকে পাঠদান অবস্থায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বের করে তালা লাগিয়ে দেয়। এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী লিমা আক্তার ও রাসেল মিয়া জানায়, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকেরা তাদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত ছয় লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে একাধিকবার আশ্বাস দিলেও তাঁরা কথা রাখেননি। তাই তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেয়। দুপুর ১২টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে। মহজমপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন নিয়ে জটিলতা থাকায় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না।
129,607
প্রথম আলো ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:০৪
০৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:০৫
জীবনধারা,গবেষণা
null
পুরুষের মধ্যে নারীসুলভ বাচনভঙ্গির প্রবণতা বাড়ছে
http://www.prothom-alo.com/technology/article/93049
পুরুষের মধ্যে নারীসুলভ বাচনভঙ্গি বেশি দেখা যাচ্ছে। নতুন এক গবেষণায়  দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের তরুণদের বাচনভঙ্গিতে নারীসুলভ প্রবণতা আগের চেয়ে বেশি। দেশটির একদল ভাষাবিজ্ঞানীর এ গবেষণা অ্যাকুস্টিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকার এক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে।ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, কথা বলার সময় বাক্যের শেষ দিকে উচ্চগ্রাম বা তীব্র সুরে পৌঁছানোর মতো প্রবণতা তরুণদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত রয়েছে। তবে বর্তমানে এ ধরনের বাচনভঙ্গি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় সবখানেই তুলনামূলক বেশি দেখা যাচ্ছে।সংশ্লিষ্ট শীর্ষ গবেষক অ্যামান্ডা রিচার্ট বলেন, আর্থসামাজিক মর্যাদা, নৃতাত্ত্বিক, দ্বিভাষিক ও লিঙ্গভিত্তিক বৈশিষ্ট্যে অনেক পার্থক্য সত্ত্বেও নারীসুলভ বাচনভঙ্গির প্রচলন দেখা যাচ্ছে। তবে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলের তরুণদের মধ্যে এ ধরনের বাচনভঙ্গির প্রভাব তুলনামূলক বেশি।গবেষকেরা ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী স্থানীয় ২৩ জন তরুণের বাচনভঙ্গি বিশ্লেষণ করেন এবং তা তুলনামূলক বেশি বয়সী লোকজনের বাচনভঙ্গির সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন।যুক্তরাজ্যের কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যামেলিয়া আরভ্যানাটি বলেন, পুরুষেরা কখন ও কী প্রক্রিয়ায় নারীর বাচনভঙ্গি রপ্ত করেছে, তা সুনির্দিষ্ট নয়। অবশ্য পুরুষেরা ব্যাপারটি সচরাচর স্বীকারও করতে চায় না। বিবিসি।
34,096
নওগাঁ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ জুলাই ২০১৬, ০২:০৪
১৭ জুলাই ২০১৬, ০২:০৬
বিশাল বাংলা
0
বৃক্ষমেলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/916864
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা চত্বরে তিন দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় এ মেলার উদ্বোধন করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সভাপতিত্বে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সত্যব্রত সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামইরহাট এমএম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
240,801
রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪৬
১৫ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪৭
রামগতি,লক্ষ্মীপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
এলজিইডির দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/38830
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী কে সি এ কনসোর্টিয়াম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নুরুল হুদা চৌধুরী মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এই অভিযোগ করেন।ইউএনও মোহামঞ্চদ আবদুল আওয়াল লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার বেলা একটায় ওই দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল।নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, দরপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে শিডিউল বিক্রয় ও গ্রহণের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাঁর দাবি, একটি মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে। এতে পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে দরপত্র জমা দিয়েও তাঁরা বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প—তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় চারটি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য দুটি প্যাকেজে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ১৫ জুলাই দরপত্র আহ্বান করে।লক্ষ্মীপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এবং রামগতি ও কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে শিডিউল বিক্রয় করা হয়। শিডিউল বিক্রির শেষ দিন সোমবার পর্যন্ত কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে আটটি শিডিউল বিক্রি হয়।কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী মীর হোসেন বলেন, ‘অনিবার্য কারণে প্রত্যাশিত দরপত্র জমা না পড়ায় পিপিআরের শর্ত অনুসরণ করে শিডিউল বিক্রি এবং দরপত্র গ্রহণের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ (২১ ও ২২ আগস্ট) করা হয়েছে। কে সি এ কনসোর্টিয়াম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, দরপত্র জমা দেওয়া কোনো প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা অমূলক।
9,350
মংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ মার্চ ২০১৬, ২১:২৪
২৫ মার্চ ২০১৬, ২১:২৫
মোংলা,বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ
0
ইউনেসকো প্রতিনিধি দলের সুন্দরবন পরিদর্শন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/809752
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণে সুন্দরবনের ওপর কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে তা খতিয়ে দেখল ইউনেসকোর প্রতিনিধি দল। গত বুধবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত তাঁরা সুন্দরবনে অবস্থান করেন। সবকিছু খতিয়ে দেখার পর তাঁরা সুন্দরবন ছেড়েছেন। প্রতিনিধি দলের সমন্বয়কারী পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি অংশ। গত বুধবার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে তাঁরা সুন্দরবন গিয়েছিলেন। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ও কয়লবাহী কার্গো ডুবির ঘটনায় সুন্দরবনের ওপর কী ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে বা পড়তে পারে—তা দেখার জন্য আমরা ইউনেসকোর ওই দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সে​ই আমন্ত্রণে ইউনেসকোর তিন সদস্যের দলটি গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসেন। বুধবার তাঁরা সর্বপ্রথম বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর তাঁরা সুন্দরবনে তেলবাহী জাহাজ ও কয়লাবাহী জাহাজডুবির ঘটনাস্থলসহ সুন্দরবনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন। তৌহিদুল আরও বলেন, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শুক্রবার রাতে মংলায় অবস্থান করছেন। কাল শনিবার ঢাকায় যাবেন তাঁরা। আগামী ২৮ মার্চ তাঁরা পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করবেন। ইউনেসকোর এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইউনেসকোর উপদেষ্টা ফেনি এ্যাডলফিন ডবার। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সফরে অংশ নেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যা অনুষদের শিক্ষক দীলিপ দত্ত, পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন এবং সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের বন কর্মকর্তা।
213,889
-1
economy
অর্থনীতি
১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৪
১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৪
বাণিজ্য
0
কাবুলে ফ্লাইট শুরু করেছে এমিরেটস
http://www.prothom-alo.com/economy/article/97372
এমিরেটস এয়ারলাইন সম্প্রতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিয়মিত দৈনিক উড্ডয়ন শুরু করেছে। এটি হচ্ছে এমিরেটসের ১৩৮তম গন্তব্য। আর এ নিয়ে বিশ্বের ৭৮টি দেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হলো এমিরেটসের।এমিরেটস দুবাই-কাবুল-দুবাই পথে এয়ারবাস এ৩৪০-৫০০ উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে। উড়োজাহাজটির প্রথম শ্রেণীতে ১২টি, বিজনেস ও ইকোনমি শ্রেণীতে যথাক্রমে ৪২টি ও ২০৪টি আসন রয়েছে।এ ছাড়া কাবুল থেকে যাত্রীরা ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক সংযোগও নিতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি।
35,460
দিনাজপুর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৫
১১ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৫
দিনাজপুর,বিশাল বাংলা
0
গ্রেপ্তার–আতঙ্কে খানসামার চার গ্রাম পুরুষশূন্য
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1056897
দিনাজপুরের খানসামা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে চারটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। ওই ঘটনায় দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ ৭২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।গ্রামগুলো হলো বিষ্ণুপুর, জাহাঙ্গীরপুর, গোবিন্দপুর ও বেলপুকুর।খানসামা ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ২২ দিন ধরে কলেজ জাতীয়করণ বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে আন্দোলন চলছে। এর অংশ হিসেবে গত রোববার ডাকা অর্ধদিবস হরতালের সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। এতে ১ পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩০ জন আন্দোলনকারী আহত হন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ দুটি মামলা করেছে। এতে ৭৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৭২৮ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে আটক ৫ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে গ্রেপ্তারের ভয়ে ওই চার গ্রামের পুরুষ ও আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।গোবিন্দপুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম বলেন, তাঁর জমিতে আলু, গম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল পড়ে রয়েছে। পুলিশ অজ্ঞাতনামা বহু মানুষকে আসামি করেছে। এখন সবার মনে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়। এ আতঙ্কে জমিতেও কেউ কাজ করতে আসেন না। রাতেও বাড়িতে থাকতে পারেন না।খানসামা বাজারের ফটোকপি ও কম্পিউটার কম্পোজ ব্যবসায়ী লোকমান হাকিম বলেন, পুলিশের ভয়ে দোকান খুলতে পারছেন না।মুদি দোকানদার আবদুল করিম বলেন, রোববার থেকে দোকানে ক্রেতা নেই। রাতে বাড়িতে ঘুমাতে গেলে ভয় লাগে। কখন এসে ধরে নিয়ে যায়।আলোকঝাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আনিছুর রহমান বলেন, মিটিং বা মিছিলে না থাকলেও পুলিশ তাঁকে আসামি করেছে। তিনি গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িতে থাকেন না।আলোকঝাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান ও গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আ স ম আতাউর রহমান বলেন, এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে যুবকেরা কেউ বাড়িতে নেই। আতঙ্কে অনেক দোকানপাটও বন্ধ।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, রোববারের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। ওই দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ ৭২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, এমন কাউকে হয়রানি করা হবে না।
282,318
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ২২:১৪
২০ নভেম্বর ২০১৫, ২২:২৪
-1
null
সাকার সাক্ষাতে আইনজীবীসহ ছেলেরা কারা ফটকে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/689143
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তাঁর দুই ছেলে ফজলুল কাদের চৌধুরী ফাইয়াজ ও হুম্মাম কাদের চৌধুরী আজ শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সাকা চৌধুরীর দুই আইনজীবী। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাঁদের সাক্ষাতের অনুমতি না দেওয়ায় তাঁরা ফিরে যান।সাকা চৌধুরীর ছেলেরা বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার চাওয়া বা না-চাওয়ার ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে বাবা (সাকা চৌধুরী) আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বাবার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি।
175,859
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
৩১ মে ২০১৫, ১৬:২৭
৩১ মে ২০১৫, ১৭:১৮
আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
শূন্যে আধঘণ্টা বল ভাসিয়ে বিশ্ব রেকর্ড
http://www.prothom-alo.com/sports/article/542380
বল মাথায় নিয়ে খানিকটা কারিকুরি—খেলার মাঠে এমন দৃশ্য কতই তো দেখা মেলে। সাধারণত অনুশীলনের ফাঁকে খেলোয়াড়েরা শখের বশে বল নিয়ে এমনটা করেন। কিন্তু চামড়ার গোলকটা কতক্ষণই বা মাথায় রাখা যায়! খুব কৌশলী হলে বড় জোড় দুই-চার মিনিট। কিন্তু এরিক হার্নান্দাজের কাছে অনেকক্ষণ বল মাথায় রাখা যেন বাঁ হাতের (নাকি পায়ের আর হেডের) খেল! সাবেক এ কিউবিয়ান খেলোয়াড় আধঘণ্টার বেশি সময় শূন্যে বল রেখে রীতিমতো নাম লিখিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।গতকাল শনিবার হাভানায় এ রেকর্ড গড়েন হার্নান্দেজ। গত বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ব্রাজুকা মাথায় রেখেছিলেন ৩০ মিনিট এক সেকেন্ড! ব্যস, রেকর্ড হওয়ার জন্য সেটাই যথেষ্ট। আগের রেকর্ডটি ছিল ২২ মিনিটের। সেটি ছিল হার্নান্দেজের স্বদেশি লুইস কার্লোস গার্সিয়ার দখলে।হার্নান্দেজের নামের পাশে আরও দুটি রেকর্ড জমা হয়েছে। এক মিনিটে হেড করেছেন ৩১৯ বার। পায়ে বল লোফালুফি করেছেন টানা এক ঘণ্টা ২৮ মিনিট।কাজগুলো করতে তাঁর নাকি খুব একটা কষ্ট হয়নি। তবে এর জন্য করতে হয়েছে কঠোর অনুশীলন। নজর রাখতে হয়েছে পেটের পেশির দিকেও। দীর্ঘক্ষণ এমন কারিকুরির পরও এতটুকু ক্লান্ত নন হার্নান্দেজ। বলেছেন, ‘শারীরিকভাবে ক্লান্ত হইনি। তবে ঘাড়ে একটু অস্বস্তি বোধ হচ্ছে।’ আইএএনএস।
143,360
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:১১
০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:১১
বরগুনা,বিশাল বাংলা,অপরাধ,বরিশাল বিভাগ
0
ইউপি সদস্যকে হত্যার হুমকি?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1053061
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকালে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়।ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান আকন মোহাম্মদ সহিদের স্ত্রী রুবিনা আক্তার সংরক্ষিত ৫ (পাথরঘাটার আংশিক ও বামনা উপজেলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ইউপি চেয়ারম্যানের ধারণা, আমরা তাঁর স্ত্রীকে ভোট দিইনি। এর জেরে গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে চেয়ারম্যানের তিন সহযোগী রুনু বেগম, মোয়াজ্জেম হাওলাদার ও শ্যামল চন্দ্র শিকদার আমার পথরোধ করেন। পরে আরও দুজন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। ওই ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে পাথরঘাটা থানায় মামলা করি। চেয়ারম্যান ওই মামলা তুলে নিতে বলেন। আমি রাজি না হওয়ায় ওই দিন সন্ধ্যায় মোয়াজ্জেম মুঠোফোনে আমাকে দেখে দেওয়ার হুমকি দেন। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর মোয়াজ্জেম মুঠোফোনে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।’আবুল কালাম আজাদ কালমেঘা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওই একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তখন হত্যার হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু এরপর আমাকে মারধর করা হলো। গত মঙ্গলবার আমার এক ভাতিজাকে মারধর করা হয়েছে।’সংবাদ সম্মেলনে ছয়জন ইউপি সদস্যসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।জানতে চাইলে মোয়াজ্জেম হাওলাদার বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন বিকেলে ইউপি সদস্যকে (আবুল কালাম) আমি ফোন দিয়েছিলাম। তবে তাঁকে কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। মারধরের ঘটনায়ও আমি জড়িত নই।’ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকন মোহাম্মদ সহিদ বলেন, রুনু বেগমের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল। ফয়সালার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ইউপি সদস্য তা না মেনে মামলা করেছেন।পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক বলেন, আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে আছেন।
280,394
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১৯ জুলাই ২০১৪, ১৪:২২
১৯ জুলাই ২০১৪, ১৪:২৭
এশিয়া
0
বিধ্বস্ত বিমানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নানি
http://www.prothom-alo.com/international/article/271759
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ২৯৮ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া মালয়েশিয়ার বিমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের সৎ নানি ছিলেন।বার্তা সংস্থা এএফপি প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেন আজ শনিবার এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নাজিব রাজাকের খালাতো ভাই হিশামুদ্দিন হুসেন জানান, বিমানটিতে ৮৪ বছর বয়সী সিতি আমিরাহ ছিলেন।ছবিসহ এক টুইটার বার্তায় হিশামুদ্দিন লিখেছেন, ‘আমার সৎ নানি ওই ফ্লাইটে ছিলেন। তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যাওয়ার উদ্দেশে আমস্টারডাম থেকে একাই বিমানে ওঠেন আমিরাহ। তাঁর বাড়ি জাকার্তায়। সেখানে তিনি ঈদ উদযাপনে যাচ্ছিলেন।গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়। বিমানটি রাশিয়ার সীমান্তবর্তী পূর্ব ইউক্রেনে ভূপাতিত হলে ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হন।
78,882
ফরিদপুর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০১
১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০১
ফরিদপুর,বিশাল বাংলা
0
লাশ উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1060265
ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার স্বর্ণময়ী মার্কেটের সামনে থেকে গতকাল রোববার সকালে ৬০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।পরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে অজ্ঞাত ব্যক্তি হিসেবে ওই বৃদ্ধকে শহরের আলীপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওই বৃদ্ধ এক মাস ধরে স্বর্ণময়ী মার্কেটে অবস্থান করছিলেন।
284,000
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুলাই ২০১৩, ০২:১৫
২২ জুলাই ২০১৩, ০২:১৬
খুলনা,বিশাল বাংলা,খুলনা মেডিকেল কলেজ
0
শিক্ষকসংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/27902
শিক্ষকসংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রিসহ সাতটি বিভাগে শিক্ষকসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগগুলোতে এক মাস ধরে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক নেই। ফলে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুন তিনজন অধ্যাপক ও ১০ জন সহকারী অধ্যাপক একযোগে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এ কারণে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, ফার্মাকোলজি, কার্ডিওলজি ও অ্যানেস্থেশিওলজি বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অ্যানাটমি বিভাগে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক ও একজন সহকারী অধ্যাপকের পদ থাকলেও বর্তমানে পদগুলোতে কেউ নেই। বিভাগের একজন কিউরেটর, চারজন প্রভাষক ও অন্য বিভাগ থেকে শিক্ষক এনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।ফিজিওলজি ও বায়োকেমেস্ট্রি বিভাগে একজন করে অধ্যাপক ও দুজন করে সহযোগী অধ্যাপকের পদ থাকলেও পদগুলো বর্তমানে শূন্য রয়েছে।মাক্রোবায়োলজি বিভাগে একজন অধ্যাপক ও দুজন সহকারী অধ্যাপকের পদে কেউ নেই।ফার্মাকোলজি বিভাগে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক ও একজন সহকারী অধ্যাপকের পদ থাকলেও একজন সহকারী অধ্যাপক ছাড়া বাকি পদ শূন্য রয়েছে।কার্ডিওলজি বিভাগে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক ও দুজন সহকারী অধ্যাপক পদের বিপরীতে রয়েছেন একজন সহযোগী অধ্যাপক। এ ছাড়া অ্যানেস্থেশিওলজি বিভাগে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে কেউ নেই। শিক্ষকসংকটে গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, খুমেকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকসংকট চলছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাশাস্ত্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে তাঁদের সন্তানেরা ভালো চিকিৎসক হতে পারবে না। অবিলম্বে তাঁরা শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মাহবুব জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজে শুরু থেকেই শিক্ষকসংকট ছিল। বর্তমানে এটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে গত জুন মাসে একযোগে ১৩ জন শিক্ষক পদোন্নতি নিয়ে অন্যত্র বদলি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এই শিক্ষকসংকটের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। শিগগিরই এ সংকট কেটে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
4,260
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:১৯
২৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:২১
রাজধানী (জাতীয়),খবর
0
ধূমপানের পথ ধরে নেশায়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/433414
মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ধূমপানের পথ ধরে নেশায় জড়ায়। একজন ধূমপায়ীর সাধারণত একাধিক ধূমপায়ী বন্ধু থাকে। তাদের মধ্যে দু-একজন মাদকাসক্ত থাকতে পারে। এই দু-একজনের প্রভাবে অন্য ধূমপায়ী বন্ধুরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এভাবে ধূমপান থেকে নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলন এই পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গতকাল শনিবার ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা-৫৬ অনুষ্ঠান।প্রথম আলো ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ফেরদৌস ফয়সালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যা শুনে পরামর্শ দেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহিত কামাল, সহকারী অধ্যাপক অভ্রদাশ ভৌমিক, ফারজানা রহমান, মেখলা সরকার, জিল্লুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোচিকিৎসক সিফাত-ই-সাঈদ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আপনের নির্বাহী পরিচালক ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল।আলোচকেরা অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কখন ফিরছে, প্রতিটি বিষয়ে বাবা-মাকে খোঁজ নিতে হবে। সন্তানেরা যাদের সঙ্গে মিশছে তাদের সম্পর্কেও খোঁজ নিতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে এমন সম্পর্ক গড়তে হবে, যাতে সন্তানেরা বাবা-মাকে সবকিছু খুলে বলতে পারে। অভিভাবকদের কখনো নিরাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাঁরা কলেন, অনেক পরিবারে হয়তো মাদকের সমস্যা আছে। মাদকাশক্তদের সুস্থ হতে সময় লাগে। সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের বিপণন প্রধান আজম খান, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদ ।
109,796
গাজী ফিরোজ, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৯
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৯
চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম
0
হরতাল–অবরোধে কমে গেছে জমি কেনাবেচা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/452206
চট্টগ্রামে হরতাল-অবরোধে কমে গেছে জমি কেনাবেচা। গত ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে তা নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। ফলে এ খাত থেকে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে।রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে ১৪ হাজার ৪২টি। জানুয়ারি মাসে তা কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৩৫৩টিতে। দলিল ও যাবতীয় রেকর্ডের নকল ফি এবং দলিল রেজিস্ট্রি ফিসহ বিভিন্ন খাতে ডিসেম্বর মাসে সরকারি কোষাগারে জমা হয় ১০৫ কোটি ৬৪ লাখ ২১ হাজার ৪৫০ টাকা। জানুয়ারি মাসে তা দাঁড়ায় ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৬ হাজার ৭৫২ টাকায়।কাজ কমে যাওয়ায় অলস সময় পার করছেন ভূমি রেজিস্ট্রি (নিবন্ধন) কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেনাবেচা কমে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দলিললেখকেরা। এ ছাড়া প্রয়োজনের সময় জমি বিক্রি করতে না পেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকে।গত বুধ ও বৃহস্পতিবার জেলা রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা নেই। কাজের চাপ না থাকায় অলস সময় পার করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু জেলা রেজিস্ট্রি কার্যালয় নয়, ২১টি সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়েরও একই চিত্র বলে জানা গেছে।জমি বিক্রির সময় বিক্রেতাদের রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে হাজির হতে হয়। কেউ উপযুক্ত কারণে হাজির হতে না পারলে রেজিস্ট্রি কার্যালয় থেকে ‘কমিশন’ (লোক) পাঠানো হয়। রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্র জানায়, হরতাল-অবরোধে বালাম বই নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বিক্রেতার বাড়িতে ‘কমিশন’ পাঠানো হচ্ছে না।জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার মুশতাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিবন্ধন কার্যালয়ে আসছেন না। ফলে কেনাবেচা কমে গেছে। এতে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কারও বাসায় কমিশন পাঠানো হচ্ছে না।জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, নগরের চন্দনপুরা এলাকার অসুস্থ এক ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য জায়গা বিক্রি করতে ক্রেতার সঙ্গে মৌখিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু বিক্রেতা রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে আসতে না পারায় তাঁর বাসায় ‘কমিশন’ পাঠানোর জন্য গত জানুয়ারিতে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে রেজিস্ট্রি কার্যালয় থেকে ‘কমিশন’ পাঠানো হচ্ছে না। রেজিস্ট্রি কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, হরতাল-অবরোধে বালাম বই নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দেড় মাস ধরে রেজিস্ট্রি করা যাচ্ছে না।নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, একখণ্ড জমি বিক্রির জন্য দলিল তৈরি করে রাখা হলেও হরতাল-অবরোধের কারণে রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, জমির অংশীদারেরা চাকরির কারণে কেউ ঢাকায়, কেউ কুমিল্লায়, কেউ রংপুরে থাকেন। হরতাল-অবরোধের কারণে তাঁরা আসতে পারছেন না। এদিকে জমির ক্রেতা প্রবাসী। তিনি দলিল রেজিস্ট্রি করে বিদেশে চলে যেতে চাইলেও পারছেন না।জমি কেনাবেচার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, দলিললেখক, সার্ভেয়ার ও কেনাবেচার মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।নগরের জিইসি মোড় এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার জমি কেনাবেচার মধ্যস্থতা করে সংসার চালান। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে জমি কেনাবেচা নেই বললেই চলে। এই অবস্থা চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
115,501
খুলনা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ আগস্ট ২০১৫, ০২:৫৫
২৬ আগস্ট ২০১৫, ০২:৫৮
খুলনা বিভাগ,খুলনা,আইন ও বিচার
0
অভিযোগপত্র দাখিল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/613240
খুলনার আলোচিত শিশু শ্রমিক রাকিব হত্যা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এতে তিনজনকে অভিযুক্ত ও ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।খুলনা মহানগর হাকিম আদালতে গতকাল দুপুরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী মোস্তাক আহম্মদ। অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক প্রথম আলোকে জানান, অভিযুক্ত তিনজন হলেন শরীফ মোটরসের মালিক মো. শরীফ, তাঁর সহযোগী মিন্টু খান ও শরীফের মা বিউটি বেগম। ইতিমধ্যে তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে আছেন।তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাকিবকে (১২) মজুরি কম দেওয়া হতো। এ জন্য সে অন্য একটি গ্যারেজে কাজ নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, বাতাসের চাপে রাকিবের ফুসফুস চুপসে যায়। তার মলদ্বার থেকে গলা পর্যন্ত রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়। যে কমপ্রেসর মেশিন দিয়ে রাকিবের পেটে হাওয়া ঢোকানো হয়েছিল, সেটি, পরনের কাপড়, স্যান্ডেল এবং যে রঙের কৌটা কিনতে গিয়ে রাকিব ঘটনার শিকার হয়, সেটি অভিযোগপত্রের সঙ্গে আদালতে দাখিল করা হয়েছে।অভিযোগপত্র দাখিলের আগে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি। এ সময় রাকিবের মা-বাবা ও বোন উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কমিশনার মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে রাকিবের মা-বাবার কাছে ২৫ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেন। তিনি বলেন, ‘রাকিবকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, এত নির্মমভাবে বিশ্বের আর কোথাও কাউকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এটিকে স্পর্শকাতর মামলা হিসেবে শুরু থেকেই পর্যবেক্ষণ করা হয়। মনিটরিং কমিটির সদস্যরা এবং আমি নিজে সার্বক্ষণিক মামলার তদন্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছি। রাকিবকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবে তার হত্যাকারীরা দৃষ্টান্তমূলক সাজা পাবে।’৩ আগস্ট মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসর মেশিনের পাইপ রাকিবের পায়ুপথে ঢুকিয়ে হাওয়া দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নগরের টুটপাড়ার মোটরসাইকেল গ্যারেজ শরীফ মোটরসের মালিক শরীফ, তাঁর সহযোগী মিন্টু ও শরীফের মা বিউটি বেগমকে ক্ষুব্ধ জনতা পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনার পরদিন ওই তিনজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা হয়।
163,070
নোয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:০৮
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:০৯
নোয়াখালী,চট্টগ্রাম বিভাগ,রাজনীতি,বিশাল বাংলা
0
সংসদে এসে জাতির কাছে নালিশ করুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/49698
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে না গিয়ে সংসদের চলতি অধিবেশনে জাতির কাছে নালিশ দিন। এতে দেশের সম্মান বজায় থাকবে।’যোগাযোগমন্ত্রী গতকাল রোববার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গাবুয়া জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন।যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক সমস্যা আছে, সেগুলো আমাদেরই সমাধান করতে হবে। আমি আশা করব, চলতি অধিবেশনে বিরোধী দল সংসদে যোগ দিয়ে তাদের দাবির পক্ষে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করবে। সরকার অনড় অবস্থায় আছে, কথাটা ঠিক নয়।’অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাকির হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) বাবুল চন্দ্র রায় প্রমুখ।
18,807
যশোর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২০:০১
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২০:০২
-1
null
চোখের পানিতে বাবা-মেয়েকে চিরবিদায়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/442972
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় পুড়ে মারা যাওয়া যশোরের নুরুজ্জামান পপলু ও তাঁর মেয়ে মাইশা তাসনিমকে চিরবিদায় জানালেন তাঁদের স্বজন ও পরিচিতজনেরা। আজ বুধবার সকালে শহরের ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাঁদের ঘোপ সেন্ট্রাল সড়কের সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।তাঁদের বাড়ি যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল সড়কে। নুরুজ্জামান ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। আর মেয়ে মাইশা যশোর পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।জানাজা শেষে দাফনের জন্য লাশের কফিন বাড়ির সামনে দিয়ে কবরস্থানে নেওয়ার সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। কফিন দেখে মাইশার বৃদ্ধ নানা রোকন উদ্দীন অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শোকাবহ এ পরিবেশে তাঁদের শেষবারের মত এক নজর দেখার জন্য পাড়ার মানুষ বাড়িতে ভিড় করে। উপস্থিত সবার মুখে ছিল একটাই কথা, ‘আমরা এ ধরনের রাজনৈতিক সন্ত্রাস চাই না। এ অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি চায়।’জানাজায় যশোরের জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী রেজা রাজু, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ শহরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।
112,361
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৪০
২০ আগস্ট ২০১৬, ২০:০৫
রাজনীতি
null
জঙ্গি ঘটনায় জড়িতরা আ.লীগ ঘরানার সন্তান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/952207
‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সঙ্গে বিএনপি জড়িত’—সরকারের মন্ত্রীদের এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন পর্যন্ত একটি ঘটনাও তারা এটা প্রমাণ করতে পারেনি। বরং যাঁরা জঙ্গি ঘটনায় জড়িত ও গ্রেপ্তার হয়েছে, তাঁরা আওয়ামী লীগ ঘরানার সন্তান।আজ শনিবার বিকেলে রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। দলের প্রয়াত মহাসচিব আবদুস সালাম তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে বিএনপি এ দোয়ার আয়োজন করে।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজ কথায় কথায় তারা (সরকার) বলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সঙ্গে বিএনপি জড়িত। অথচ আজ পর্যন্ত একটি ঘটনাতেও তারা প্রমাণ করতে পারেনি যে জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপি জড়িত রয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে, যাঁরা এ ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছে, তাঁদের বাবা আওয়ামী লীগের নেতা, তাঁরা আওয়ামী লীগ ঘরানার সন্তান।সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা আজকে জঙ্গিবাদের কথা বলছে, তাকে নির্মূল করবার জন্য নয়। বরং আমরা স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, তারা তাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আজকে যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই, কোনা রকম আদালতে প্রেরণ ও বিচার ছাড়াই তাদের ক্রসফায়ারের নাম করে হত্যা করা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো হালকা করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।’প্রয়াত আবদুস সালাম তালুকদারের দক্ষ ও দৃঢ় নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজ ১৭ বছরে পরে দেশের সবচেয়ে দুর্দিনে, দলের সবচেয়ে বড় দুঃসময়ে এই নেতাকে খুব মনে পড়ছে। আজকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য গোপনে নয়, প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা হুমকি দিচ্ছেন, বিএনপিকে নির্মূল করে দেওয়া হবে। একটি গণতান্ত্রিক শক্তি, যা দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই সংগ্রাম করেছে, সেই দলটিকে একেবারে শেষ করে দেওয়ার ঘোষণা আওয়ামী লীগের নেতারা দিচ্ছেন। এটাতে ষড়যন্ত্রের আভাস পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে তাঁরা বিএনপিকে মূল রাজনৈতিক ধারা থেকে সরিয়ে দিতে চান। বিষয়টা শুধু বিএনপি নয়, দেশের সমগ্র গণতান্ত্রিক শক্তি ও সচেতন মানুষের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের। তাহলে কি সরকার দেশের বহুদলীয় রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে আবার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়?ফখরুল বলেন, আবদুস সালাম তালুকদার কেবল বিএনপিকে নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর সক্ষম ও দৃঢ় নেতৃত্বে বিএনপি ১৯৯১ সালের সরকার গঠন করতে পেরেছিল। এমনকি ওই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ওই সরকারকে জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় সরকার হিসেবে পরিচিত করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, আজকেও একটা সময় উপস্থিত হয়েছে, যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার, তাঁর লেখা ও কথা বলার স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা বড় প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।দোয়া অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
251,445
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ জুলাই ২০১৭, ০০:০১
০৩ জুলাই ২০১৭, ০০:০২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,রাজনীতি
0
ছাত্রদল নেতাকে সভপতি করে গঠিত ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1235831
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত আংশিক কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগ এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়।নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল রোমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, গত ২৭ জুন উপজেলা ছাত্রলীগ বীরগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক তারেক আহমেদকে সভাপতি করে এই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ছয় সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন করে। কমিটি ঘোষণার পর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের (পদ পাওয়া নেতাদের) বিরুদ্ধে বিতর্কিত ছবি প্রকাশিত হয়। এ কারণে গত শনিবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগ এক জরুরি সভা করে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বীরগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ছয় সদস্যের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।তারেক আহমেদ ছোটবেলা থেকেই ছাত্রলীগ করেন, এমন দাবি করলেও তাঁর দাবি সঠিক নয় বলে জানান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের। তাঁরা বলেন, তারেক বীরগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনের চাচাতো ভাই। ফলে প্রায়ই ছাত্রদলের অফিসে আসতেন এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতেন।নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারেক জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছি। তাই এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
323,981
প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি
international
আন্তর্জাতিক
০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:১৫
০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:১৭
ভারত
0
কংগ্রেস-জেডিএস শাসন কেমন চলছে, প্রমাণ মঙ্গলবার
http://www.prothom-alo.com/international/article/1563747
কর্ণাটকে কংগ্রেস ও ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের (জেডিএস) জোট শাসন কেমন চলছে, রাজ্যের পাঁচ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। শনিবার ওই পাঁচ কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে তিনটি লোকসভা, দুটি বিধানসভা। ফল ঘোষণা হবে আগামী মঙ্গলবার।লোকসভা কেন্দ্রগুলো হলো শিবমোগা, বেলারি ও মান্ডিয়া। বিধানসভা কেন্দ্র দুটি রামনগর ও জামাখান্ডি। পাঁচ কেন্দ্রেই জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে রাজ্যের দুই শাসক দল কংগ্রেস ও জেডিএস। কংগ্রেস লড়ছে বেলারি লোকসভা ও জামাখান্ডি বিধানসভা কেন্দ্রে; জেডিএস শিবমোগা ও মান্ডিয়া লোকসভা আসন ও রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে।রামনগর কেন্দ্রে জেডিএসের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর স্ত্রী অনিতা। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন এল চন্দ্রশেখর। মাত্র দুদিন আগে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। ফলে অনিতার জয় নিশ্চিত। শুধু ঘোষণা বাকি। কুমারস্বামী যে দুই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন, রামনগর তার একটি।শিবমোগা লোকসভা কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সাবেক মুখমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। সেই কেন্দ্রে এবার বিজেপি দাঁড় করিয়েছে তাঁর ছেলে রাঘবেন্দ্রকে। এই কেন্দ্রের অন্য দুই প্রার্থীও সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের ছেলে। জেডিএস দাঁড় করিয়েছে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এস বঙ্গারাপ্পার ছেলে মধু বঙ্গারাপ্পাকে, সংযুক্ত জনতা দল দাঁড় করিয়েছে আর এক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জে এইচ প্যাটেলের ছেলে মহিমকে। তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীই কোনো না কোনো সময় এই শিবমোগা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন।শিবমোগার মতোই লৌহ আকর খনির জন্য বিখ্যাত বেলারি কেন্দ্রটিও বিজেপির খাসতালুক বলে পরিচিত। দুটি আসনই বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে কংগ্রেস-জেডিএস জোট কোমর কষে নেমেছে। বিজেপি নেতা শ্রীরামালু বিধানসভায় জিতে এই আসনটি ছেড়ে দেন। এখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে শ্রীরামালুর বোন শান্তাকে।বেলারি কেন্দ্রটি প্রথম আলোচনায় উঠে আসে ১৯৯৯ সালে, যখন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীর মোকাবিলায় এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি দাঁড় করায় সুষমা স্বরাজকে। জিতেছিলেন সোনিয়া। পরেরবারের ভোটে, ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকার গঠনের সময় সুষমা ঘোষণা করেন, সোনিয়ার মতো এক বিদেশি প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি মাথা ন্যাড়া করে সাদা কাপড় পরা শুরু করবেন। সোনিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মনমোহন সিংকে। সুষমাকেও মাথা মুড়োতে হয়নি।বেলারিতে কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন ভি এস উগরাপ্পা। তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। কংগ্রেস বেলারি ছিনিয়ে নিতে আশাবাদী, কারণ, এই লোকসভা কেন্দ্রের আটটি বিধানসভা আসনের মধ্যে ছয়টি তাদের দখলে।মান্ডিয়া লোকসভা কেন্দ্রটি ছিল জেডিএসের দখলে। প্রার্থীও দিয়েছে তারা। জামাখান্ডি বিধানসভা আসনটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। জয়ী প্রার্থী সিদ্দু ন্যামগৌড়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় তাঁর ছেলে আনন্দকে কংগ্রেস প্রার্থী মনোনীত করেছে।শিবমোগা, বেলারি ও মান্ডিয়া কেন্দ্রের মেয়াদ হবে ক্ষণস্থায়ী, আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত।
381,374
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ এপ্রিল ২০১৬, ২০:৪৫
১৯ এপ্রিল ২০১৬, ২০:৫৫
সরকার
null
প্রথম হলেও ধূমপায়ীরা মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/834460
মেডিকেল কলেজগুলোকে ধূমপানমুক্ত করার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘এখন থেকে কোনো ধূমপায়ী মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে না। এমনকি প্রথম হলেও না। কীভাবে সেটি করা যায়, সে বিষয়ে কাজ করতে আমি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দিয়েছি।’ আজ মঙ্গলবার ধূমপান ও তামাকপাতা ব্যবহার ত্যাগ করার জন্য আয়োজিত এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেমে ব্যর্থ হলে সিগারেট বা মাদক খেতে হবে, সেই দিন এখন আর নেই। সবাই এখন স্বাস্থ্য সচেতন। আমি নিজে কোনো দিন একটা সিগারেটও খাইনি। আমার পরিবারের কোনো সদস্য ধূমপান করেন না। আমি চাই, প্রতিটি পরিবারই এমন হোক।’ নারীদের উদ্দেশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আপনাদের স্বজনদের বোঝান। তাঁদের দিয়ে প্রতিজ্ঞা করান যেন তাঁরা ধূমপান না করেন।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বেসরকারি হাসপাতালের নামকরা এক হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের ধূমপানের জন্য হাসপাতালে নাকি আলাদা জায়গা করতে হয়েছে। তিনি নাকি সিগারেট না খেলে অপারেশন করতে পারেন না। আপনারা তাঁকে এখানে নিয়ে আসুন। তাঁকে আগে বোঝান।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘ধূমপান ছেড়ে দিলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এ দেশের গরিব মানুষ গুল খায়। গুল বন্ধ করা হয়েছে। সিগারেটের প্যাকেটে সচিত্র সতর্কতা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা দেশকে ধূমপানমুক্ত করতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ছাত্রদের বোঝান। মসজিদের ইমামসহ সবাই ধূমপানের ক্ষতি নিয়ে বলুন। পরিবারের সদস্যরা সন্তানের খোঁজ নিন। আপনার সন্তান ধূমপান বা মাদকে আসক্ত হচ্ছে কি না খোঁজ রাখুন।’ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান। তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি। ধূমপান যেকোনো নেশার চেয়ে ভয়ংকর। কারণ অন্য নেশায় শুধু তার ক্ষতি হয়। কিন্তু ধূমপানে যে অধূমপায়ী, তারও ক্ষতি।’ তথ্যসচিব মরতুজা আহমেদ বলেন, শুধু আইন দিয়ে ধূমপান বন্ধ হবে না। সবাইকে সচেতন হতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় সবাইকে সচেতন করতে কাজ করবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ দেন বারডেমের মহাপরিচালক নাজমুন নাহার। তিনি বারডেম হাসপাতালকে আরও প্রসারিত করার জন্য সরকারের কাছে জমি বরাদ্দ চান। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ধূমপানের কারণে প্রতিবছর পৃথিবীতে ৬০ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রতি মিনিটেই মারা যাচ্ছে ১২ জন। বাংলাদেশের ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪ কোটি ১৩ লাখ কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করে। ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। ধূমপান কোনো স্মার্টনেস নয় বরং এ কারণে ১৬টি রোগ হয়। কাজেই সবার এই বদাভ্যাস পরিহার করতেই হবে।’
221,403
-1
opinion
মতামত
২২ জুন ২০১৫, ০০:১৬
২২ জুন ২০১৫, ০০:১৭
চিঠিপত্র,মতামত
0
প্রাথমিক শিক্ষকদের মূল্যায়ন
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/559051
প্রাথমিক শিক্ষা একটি দেশের শিক্ষার ভিত। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালী না হলে একটি দেশের শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান শক্তিশালী হয় না। অথচ দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষাই সবচেয়ে অবহেলিত। আশার কথা হচ্ছে, দেশে এখন মানুষই সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে আসছেন।একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য মেধাবী উচ্চশিক্ষিত তরুণদের এ পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য যথার্থ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া দুঃখজনক। তাদের যদি উন্নত স্কেল দেওয়া না হয়, তাহলে সেটা হবে অন্যায্য। দুঃখের কথা হলো, নবম পে–স্কেলে তাদের অবহেলা করা হয়েছে। আমাদের টনক কখনো নড়বে কি?মোহাম্মদ রাজীব খান, চাঁদপুর।
147,149
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:১২
২১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:১৩
চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী আনুতোষিক বিল পাননি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/104248
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগে সেবক পদে কর্মরত ছিলেন গোপি। অবসর নেওয়ার পর তাঁর ৮০ মাসের আনুতোষিক বিল পরিশোধের নথি মঞ্জুর হয় গত বছরের ২৭ আগস্ট। বছর পার হলেও এখনো পর্যন্ত পুরো প্রাপ্য বুঝে পাননি তিনি।গোপির মতো অবস্থা অবসর নেওয়া আরও ১০৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর। তাঁদের আনুতোষিক বিল বাবদ সাড়ে ছয় কোটি টাকা আটকে আছে। এর মধ্যে কারও পাওনা চার লাখ টাকা। আবার কারও ১৫ লাখ টাকা। এ অর্থ আটকে আছে প্রায় দুই বছর। এ টাকা পাওয়ার জন্য করপোরেশনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিদিন ধরনা দিচ্ছেন তাঁরা। সিটি করপোরেশনের তহবিল সংকটের কারণে তাঁদের এ বিল পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, ‘আনুতোষিক বিলের নথি যথাসময়ে মঞ্জুর হয়। কিন্তু তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তাঁদের টাকা দিতে দেরি হচ্ছে।’সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৮০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়। দুই দফায় এ অর্থ পরিশোধ করা হয়। প্রথমে ৫০ মাস ও পরে ৩০ মাসের অর্থ দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, ‘অবসরের পর আনুতোষিক বিল ও ভবিষ্য তহবিলের অর্থই আমাদের শেষ সম্বল। সংসারের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য এই অর্থের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এই পাওনা পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দুই মাস ধরে আমাদের রাজস্ব সংগ্রহ কম হচ্ছে। এ জন্য আনুতোষিক বিল যথাসময়ে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করার চেষ্টা করছি।’চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী আবু তৈয়ব বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বিল দ্রুত পরিশোধের জন্য আমরা মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
37,447
শরিফুজ্জামান
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:১৩
১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:৩১
-1
null
প্রাথমিকের বইয়ে ভুল আর ভুল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1061861
আগামী বছর ভুলত্রুটি থাকবে না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীচার বছর আগে প্রাথমিকের পাঠ্যবইগুলো প্রথম প্রকাশের পর সরকার এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু প্রতিবছর একটু একটু করে পরিমার্জন করা হয়েছে, সঙ্গে ভুল ও অসংগতিও বেড়েছে। পঞ্চম বছরে এসে ভুলের পাশাপাশি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নতুন কিছু সংযোজন-বিয়োজন নিয়ে।প্রাথমিকের পাঁচটি শ্রেণিতে মোট বইয়ের সংখ্যা ইংরেজি ভার্সনসহ ৫৬। এ বছর প্রাথমিক স্তরের জন্য ছাপা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি বই, যা বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা বইগুলোতে পরিবর্তন বেশি, ভুলভ্রান্তিও অনেক। ঢাকার কয়েকটি বিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে এবং বইগুলো নানাভাবে পর্যালোচনা করে প্রাথমিকের ভুলত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কেবল উল্লেখযোগ্য ভুলগুলো তুলে ধরা হয়েছে।তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ের ৫৮ পৃষ্ঠায় ‘আমাদের জাতির পিতা’ শীর্ষক লেখায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মায়ের নাম লেখা হয়েছে ‘সায়েরা বেগম’। এটা হবে ‘সায়েরা খাতুন’।প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ের শেষ লেখাটি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে। ১৬ লাইনের লেখায় কবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, কবে দেশ স্বাধীন হয়েছে, কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, এর উল্লেখ নেই। লেখাটি পড়ে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না।প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যসূচি যৌথভাবে পর্যালোচনা করা নিলুফার বেগম ও ফোরকান আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম শ্রেণির শিশুর উপযোগী বর্ণনা ওই লেখায় নেই। তা ছাড়া তথ্যহীন এই লেখায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শিশুরা কী শিখবে?প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পাঠ্যবইয়ের সব ভুলত্রুটি ঠিক করে সংশোধনী দেওয়া হবে। এ জন্য একটি কমিটি কাজ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বইয়ের মান কতটা খারাপ হয়েছে, কেন খারাপ হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি ভালো করার সব চেষ্টা করা হবে। আগামী বছর আর ভুলত্রুটি থাকবে না।লেখকের নাম, জন্মতারিখ ও জন্মস্থানপঞ্চম শ্রেণিতে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মতারিখ লেখা হয়েছে ২৫ মে, এটা হবে ২৪ মে। সেখানে আগস্ট বানানে ‘ষ্ট’ দেওয়া হয়েছে। একই বইয়ে জসীমউদ্‌দীনের নামের মাঝখানে স্পেস দেওয়া হয়েছে, যা ভুল। সুকুমার রায়ের পরিচিতিতে জন্মসাল থাকলেও তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন, তার উল্লেখ নেই। বইয়ের ৪০ পৃষ্ঠায় কান্তজির মন্দির নির্মাণের সাল উল্লেখ আছে ১৯৫২, এটা হবে ১৭৫২।নজরুলের ‘সংকল্প’ কবিতায় পাঁচটি ভুলপঞ্চম শ্রেণিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সংকল্প’ কবিতায় অন্তত পাঁচটি ভুল রয়েছে। প্রথম লাইনে আছে, ‘থাকব না কো বদ্ধ ঘরে’। এটা হবে ‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে’। আরেক লাইনে আছে, ‘পাতাল ফেড়ে নামব নিচে’। এটি হবে, ‘পাতাল ফেড়ে নামব আমি’। আরেকটি লাইন, ‘উঠব আবার আকাশ ফুঁড়ে’। এটা হবে, ‘উঠব আমি আকাশ ফুঁড়ে।’ বিশ্বজগৎ-এর মাঝখানে হাইফেন (-) দেওয়া হয়েছে। ঠিক দুই পৃষ্ঠা পরে আবার হাইফেন ছাড়াই বিশ্বজগৎ লেখা আছে।কবিতার প্রথম লাইনে ভুলতৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে কুসুমকুমারী দাশের বহুল পরিচিত ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় কয়েকটি লাইন বিকৃত হয়ে গেছে। কবিতার প্রথম লাইনে বলা আছে, ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে’। এটা হবে, ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’। এ ছাড়া ‘মানুষ হইতে হবে’। এটা পাল্টে লেখা হয়েছে ‘মানুষ হতেই হবে’। এক জায়গায় ‘চায়’ কে ‘চাই’ হিসেবে ছাপা হয়েছে। কবিতায় কবির লেখা আরও কয়েকটি শব্দ পাল্টে ফেলা হয়েছে। বইয়ে ‘আমাদের গ্রাম’ গল্পে অনুশীলনীতে গাঁয়ের শব্দটি ভুলভাবে গায়ের লেখা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে আছে ‘ধরনী’। এই শব্দে দন্ত্য-ন স্থলে মূর্ধন্য-ণ হবে।শিক্ষার শুরুতেই ধাক্কাপ্রথম শ্রেণির ২০১৩ ও ২০১৭ সালের বই দুটি হাতে নিয়ে দেখা যায়, এটিকে পর্যায়ক্রমে নষ্ট করা হয়েছে। বইয়ের প্রথম ছড়া ‘আতা গাছে তোতা পাখি’। ২০১৩ সালে চার লাইনের এই ছড়া নিয়ে এক পৃষ্ঠার অলংকরণ ছিল দৃষ্টিনন্দন। ২০১৭ সালে একই রকম ছবি আঁকার অনর্থক চেষ্টা হয়েছে, পৃষ্ঠার নিচের দিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আম, বাদুড় ও বকের ছবি দেওয়া হয়েছে। বইজুড়ে এভাবে ছবি ও অলংকরণ নষ্ট করা হয়েছে।প্রথম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’-এর ১১ পৃষ্ঠার চারটি ছবির কথা আসছে ঘুরেফিরে। শিশুদের শেখানোর জন্য অজ, অলি, আম ও আতার ছবি দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে একাধিক শিক্ষক ও গবেষকের মত হচ্ছে, চারটি ছবির একটিও যথার্থ হয়নি।সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘আদর্শলিপি’ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ‘অ’ দিয়ে অজগর সাপ শেখানো হয়। কিন্তু ভয়ংকর বিবেচনায় সাপ দেওয়া ঠিক হবে না বলে মত আসে। তাই অজগরের বদলে অ বর্ণ দিয়ে অপ্রচলিত ‘অজ’ ও ‘অলি’ শব্দ দেওয়া হয়।একজন শিক্ষক বলেন, ‘অজ’ মানে ছাগল। কিন্তু স্নাতক পাস করা অনেকেও ‘অজ’ শব্দের মানে জানেন না। তা ছাড়া যে ছাগলের ছবি দেওয়া হয়েছে, সেটি দেশি ছাগল নয়। আবার ছাগল আমগাছে ওঠে না, এটা ভুল বার্তা। তা ছাড়া সাধারণত এত ছোট আমগাছে আম হয় না। আমের ছবিও বোঝা যাচ্ছে না। একটা কিশোর গাছ থেকে আম পেড়ে খেতে পারে। কিন্তু একটা ছাগল গাছ থেকে আম ছিঁড়ে খাচ্ছে, এমন ছবি বেমানান। একই অবস্থা অলি শব্দেরও, এর মানে মৌমাছি। বইয়ে মৌমাছির যে ছবি দেওয়া আছে, তা দেখে একটি অচেনা পোকা মনে হয়।প্রাথমিকের পাঠ্যবই পর্যালোচনার সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক নিলুফার বানু প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে মৌমাছি না অলি, ছাগল না অজ—কোনটা শেখানো উচিত, সেই বিবেচনা যথার্থ হয়নি। তাঁর মতে, ‘ও’ দিয়ে ওড়না শেখাতে হবে কেন? তা ছাড়া একটি শিশুকে যেভাবে ওড়না পরানো হয়েছে, তা স্বাভাবিক মনে হওয়ার কারণ নেই।ছবির মান প্রতিবছর খারাপ হচ্ছেশিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষকেরা বলছেন, শিশুদের বইয়ে বিষয়বস্তুর সঙ্গে ছবির সম্পর্ক থাকা জরুরি। ২০১৩ সালে নতুনভাবে ছাপার আগে প্রাথমিকের বই হাতে নিলেই বিরক্তির সৃষ্টি হতো। দীর্ঘ সমালোচনা ও দাবির পর সরকার ভালো কাগজ ও উন্নত মলাটে চার রঙের বই দেওয়া শুরু করে।২০১৩ সালে চার রঙে প্রাথমিকের নতুন বই প্রথম ছাপা হয়। তখন টুকটাক ভুল ধরা পড়লেও ওই বইয়ের ছবিগুলো ছিল দৃষ্টিনন্দন। কিন্তু ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন ও পরিমার্জন হতে হতে ছবির মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন পাঠ্যবইয়ের বেশির ভাগ ছবির আকার ও আকৃতি অস্পষ্ট।বইয়ে শিল্প সম্পাদক হিসেবে রয়েছে শিল্পী হাশেম খানের নাম। দায়বদ্ধতার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের পর থেকে এনসিটিবি তাদের ইচ্ছামতো ছবি ও অলংকরণ পরিবর্তন করেছে। একটিবারের জন্যও তাদের মনে হয়নি, শিল্প সম্পাদক হিসেবে আমার নাম ব্যবহার করছে, আমাকে অন্তত জিজ্ঞাসা করা উচিত। অনুপাতহীন ছবি এবং ভুল ছবি দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেছে।’হাশেম খান আরও বলেন, বিনা মূল্যে বই দেওয়া সরকারের একটা ভালো অর্জন, এটাকে বিনষ্ট করার জন্য এনসিটিবির ভেতর থেকে কেউ ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে হয়।প্রথম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে অসংলগ্ন ছবি রয়েছে বেশ কয়েকটি। তৃতীয় পৃষ্ঠায় একটি শ্রেণিকক্ষের ছবি দেওয়া আছে। প্রতিটি শিশুর সামনে ব্যাগভর্তি বইয়ের স্তূপ। প্রথম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর সামনে এত বই থাকার কথা নয়। ‘এ’ দিয়ে একতারা এবং ‘ঢ’ দিয়ে ঢাক দেখাতে চাইলেও সেগুলো তা নয়। ২০ পৃষ্ঠায় একটি বককে আমগাছে বসানো হয়েছে। কিন্তু সাধারণত বক থাকে খাল-বিল বা জলাশয়ে। এই চিত্রই অধিক পরিচিত। একই পৃষ্ঠায় বলা আছে, ‘মগ ডালে ময়না দোলে’। কিন্তু ময়না পাখিটি মগডালে নয়, গাছটির মাঝামাঝি বসানো হয়েছে। ৩৬ পৃষ্ঠায় শিশুর হাতে বন্দুক দেওয়া আছে, সে শিকারে যাচ্ছে। একদিকে বন্দুক, আরেকদিকে শিকার। দুটি বিষয় প্রথম শ্রেণির শিশুর উপযোগী কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বইয়ে মৃগছানা ও উটের ছবিগুলো দিয়ে ওই প্রাণী বোঝায় না। বইয়ের বিভিন্ন পাতা ভৌতিক ও অবাস্তব ছবিতে ভরপুর।‘ইসলাম শিক্ষা’র বর্ণনা নিয়ে প্রশ্নচতুর্থ শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ৮৪ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ‘তাঁর স্ত্রী সারা (রা)কে তাঁদের পুত্র ইসহাকের জন্মের সুসংবাদ দেন। ওই সময় ইবরাহীম (আ)-এর বয়স ছিল ৯০ বছর এবং সারা (রা) ছিলেন বন্ধ্যা।’ ইসলাম শিক্ষার কয়েকটি বই পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, প্রজনন বা বন্ধ্যত্ব বিষয়ের এই বর্ণনা শিশুমননের উপযোগী নয়।পরিবেশের বর্ণনা ইসলাম শিক্ষায়পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে চার পৃষ্ঠার বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইগুলোতে পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। প্রায় একই ধরনের বর্ণনা পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে দেওয়া হয়েছে। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সমাজপাঠের অন্তর্ভুক্ত পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইসলাম শিক্ষা থেকে বাদ দেওয়া আবশ্যক।হার্ট ও রিপাবলিকপ্রাথমিকের ইংরেজি বইয়ের পেছনে ‘...বাই দ্য গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ’ লেখা। এটা ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ হওয়ার কথা। তৃতীয় শ্রেণির ‘হিন্দু ধর্ম শিক্ষা’ বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে DO NOT HEART ANYBODY। এটা হবে HURT।আরও কিছু অসংগতিতৃতীয় শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ১৯ পৃষ্ঠায় সালাত সম্পর্কে বর্ণনায় সাত লাইনে ১০ বার আছে এই (সালাত) শব্দটি। কিন্তু একবারও বলা হয়নি যে ওই শব্দটির মানে নামাজ। পঞ্চম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’-এর ১৩ পৃষ্ঠায় চিতা বাঘের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘এক প্রকার বাঘ। অন্য বাঘের সঙ্গে চিতাবাঘের পার্থক্য চিতাবাঘ অন্যান্য বাঘের চেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারে ও গাছে উঠতে পারে।’ এখানে বাক্যটি ত্রুটিপূর্ণ। যতিচিহ্ন, বিরামচিহ্নসহ টুকটাক অসংখ্য ভুল রয়েছে বিভিন্ন বইয়ে। বিশেষ করে বিখ্যাত লেখকদের মূল লেখার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই মিল নেই।তবে লেখক, গবেষক ও প্রকাশকেরা বলছেন, এসব ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। সৃজনশীল প্রকাশকদের নেতা ওসমান গণি প্রথম আলোকে বলেন, এনসিটিবি বইয়ের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে না পারলে আউটসোর্সিং করতে পারে। তাঁর মতে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাই নিয়োগের প্রথম শর্ত হওয়া উচিত, যেটি সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে কারা, কীভাবে আসেন, কত দিন থাকেন—সেসব বিষয় পর্যালোচনা হওয়া প্রয়োজন।জানতে চাইলে শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি কারণে এ ধরনের অবস্থা তৈরি হয়; নিজ দায়িত্ববোধের অভাব, প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ক্ষমতা, তদারকি বা ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি এবং জবাবদিহির অভাব। এ ছাড়া রাজনীতিকরণ হলে যোগ্যরা সঠিক জায়গায় বসতে পারেন না, তাঁদের কাজের মূল্যায়নও হয় না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপকের মতে, জাতীয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ এই কাজে ভুল-ভ্রান্তি দূর করতে প্রয়োজনে বাইরের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে হবে। সম্পাদক ও সংকলকদের ওপরে আর কোনো উচ্চতর সম্পাদক রাখা চলবে না এবং সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদেরই দায়বদ্ধ করতে হবে। ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন, শুদ্ধিপত্র বা সংশোধনী দেওয়াটা কোনো সমাধান নয়, পাঠ্যবই নির্ভুল করতে হবে।
284,517
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
২০ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:০২
২০ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:০৩
খেলা,দেশের ক্রিকেট
0
অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট
http://www.prothom-alo.com/sports/article/196960
ইয়াং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেটের প্রথম রাউন্ডে দুই দিনেই জিতে গিয়েছিল বিকেএসপি। কাল শেষ দিনে জয় পেয়েছে সিলেট ও রংপুর বিভাগ। বরিশালে তিন দিনের ম্যাচে ঢাকা মহানগরকে ২১১ রানে হারিয়েছে সিলেট। দলটির অফ স্পিনার কামরুল ইসলাম দুই ইনিংসেই নিয়েছেন ৫ উইকেট করে। ফরিদপুরে খুলনাকে ৫১ রানে হারিয়েছে সিলেট। দিনাজপুরে ঢাকা বিভাগ দক্ষিণ ও রাজশাহীর ম্যাচটি হয়েছে ড্র।
67,058
মেহেদী হাসান
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২১ মার্চ ২০১৪, ০০:৩১
২১ মার্চ ২০১৪, ০০:৩৪
প্রজন্ম ডট কম,গেমস
0
চার্জখেকো অ্যাপস
http://www.prothom-alo.com/technology/article/173518
দরকারি সময়ে ফোনের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার ভোগান্তি পোহাতে হয়নি এমন মানুষ পাওয়া মোটামুটি দুষ্কর। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও প্রকট। বড় পর্দা, ব্লুটুথ, জিপিএস, ওয়াইফাইসহ অনেক সুবিধা এবং অসংখ্য অ্যাপের সমন্বয় স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত খরচ হওয়ার অন্যতম কারণ। অ্যাপস ছাড়া স্মার্টফোন কেউ কল্পনাও করতে চান না, আবার দ্রুত ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়ে অ্যাপস ব্যবহারেও পাচ্ছেন ভয়, বিশেষ করে বাইরে থাকার সময়টাতে। চার্জখেকো অ্যাপস সম্পর্কে জানা থাকলে সেগুলো এড়িয়ে চললেই হলো। এমনই কয়েকটি অ্যাপসের উল্লেখ থাকছে এখানে ফেসবুক: সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের অ্যাপ মোটামুটি সবার স্মার্টফোনেই থাকে। অ্যাপটির নেপথ্যে সব সময় সচল থেকে বারবার ‘রিফ্রেশ’ হওয়ায় ব্যাটারির চার্জ বেশি খায়। আবার ইন্টারনেটের খরচও বাড়ায়। টুইটার অ্যাপটিও একইভাবে আপনার ফোনের চার্জ খরচ করার জন্য দায়ী।ম্যাপসআমাদের দেশে, বিশেষ করে তরুণদের মাঝে ম্যাপস ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। তবে ব্যাটারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সাবধানি তো হতেই হবে। কারণ, ম্যাপ ‘জিপিএস’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা হুহু করে ব্যাটারির চার্জ শেষ করে। ওয়েদার অ্যাপটিও প্রচুর চার্জ খরচ করে।ক্যামেরাশুনতে অদ্ভুত লাগছে? স্মার্টফোন ব্যবহার করব আর ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারব না? আমি তো ব্যবহার করতে না করছি না, শুধু এটুকু জানাচ্ছি যে ফোনের ক্যামেরা অ্যাপ ও ফ্ল্যাশ লাইট ব্যাটারি খরচ করার মোক্ষম হাতিয়ার।স্কাইপ: ফেসবুক ও টুইটারের মতো স্কাইপও চার্জ খরচ করে দ্রুত। অডিও-ভিডিও কল বা চ্যাটিং ছাড়াও নেপথ্যে সচল থাকা অবস্থায় চার্জ খরচ করে ফেলে। একই কথা ভাইবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।টেম্পল রান ২: চমৎকার গ্রাফিকসের একটি গেম। কিন্তু এটি যে আপনার ফোনের ব্যাটারির বারোটা বাজাচ্ছে তা কি জানেন? জানেন হয়তো, তবু ছাড়তে পারছেন না। ছাড়ার দরকার নেই, শুধু সময়বিশেষে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।অ্যাংরি বার্ডস: সবাইকেই সমান আনন্দ দিতে পারে চমৎকার এই গেম। তবে ব্যাটারির চার্জ খরচ করতেও ওস্তাদ। ক্যান্ডি ক্রাশ কিংবা ফ্রুট নিনজা জনপ্রিয় দুটি গেম, যা ব্যাটারির চার্জ খরচ করে দ্রুত।বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনা মূল্যের অ্যাপস কেনা অ্যাপসের চেয়ে বেশি দ্রুত চার্জ খরচ করে। কারণ বিনা মূল্যের অ্যাপসে অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপন দেখানো হয় আর বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ভৌগোলিকসহ ব্যবহারকারী সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য বিজ্ঞাপনদাতার কাছে পাঠানো হয়।
60,010