author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ মার্চ ২০১৮, ১২:৪৬ | ৩০ মার্চ ২০১৮, ১৩:১৫ | -1 | 0 | যেভাবে পাবেন আপনার গাড়ির ডিআরসি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1460031 | মোটরযানের মালিক, চালক, নিয়ন্ত্রক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবার সুবিধা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চালু করেছে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি। গাড়ির বৈধতার জন্যই এই রেজিস্ট্রেশন করা প্রয়োজন বলছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির নিউজে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থা যানবাহন সেক্টরের সেবার মান এবং বিআরটিএর সামর্থ্য ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিও নিশ্চিত করবে।মোটরযানের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কী?পেপারবুক ফরম্যাটের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের বদলে এবং নতুন রেজিস্ট্রেশন করা মোটরযানের ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত উচ্চ নিরাপত্তা ফিচারসমৃদ্ধ ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ডিআরসি) প্রদান করা হচ্ছে। ডিআরসি পেতে নির্ধারিত ফি জমা দিলে গ্রাহককে বায়োমেট্রিক্স (চার আঙুলের ছাপ, ডিজিটাল ছবি ও স্বাক্ষর) করার জন্য খুদে বার্তা বা এসএমএসের এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এসএমএস করেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। ডিআরসি তৈরি হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হয় এবং একইভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে গ্রাহক নির্ধারিত সময়ে ডিআরসি গ্রহণ করতে পারেন।ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের বায়োমেট্রিক্স প্রদানের জন্য যেসব কাগজপত্র আনতে হয় সেগুলো হলো-১। ডিআরসির জন্য প্রযোজ্য ফি জমা রসিদের মূল কপি (৫৫৫/-) ও এক সেট ফটোকপি (A4 সাইজ)২। রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট/প্রাপ্তিস্বীকার রসিদের মূল কপি ও এক সেট ফটোকপি (A4 সাইজ)৩। জাতীয় পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স (স্মার্ট কার্ড)/মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের মূল কপিসহ এক সেট ফটোকপিকীভাবে ডিআরসির জন্য বায়োমেট্রিক্স দিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেবেন:মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে NPSpace>BDate টাইপ করে ৬৯৬৯ নম্বরে পাঠাতে হবে। ধরুন আপনি ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে যান। সে ক্ষেত্রে NP B ১৫ লিখে ৬৯৬৯ নম্বরে প্রেরণ করতে হবে। উল্লেখ্য এসএমএসের (পছন্দ তারিখ) ক্ষেত্রে মাস, বছর, লেখার প্রয়োজন নেই। আপনার মোবাইলে ফিরতি মেসেজে উল্লেখিত সময়ে এসে বায়োমেট্রিক্স প্রদান করা যাবে।খ) ডিআরসি গ্রহণের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি:মোবাইলের এসএমএস অশনে গিয়ে NPCDate টাইপ করে ৬৯৬৯ নম্বরে পাঠাতে হবে। ধরুন আপনি চান ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখের জন্য APPOINTMENT করতে। সে ক্ষেত্রে NP B ২০ লিখে ৬৯৬৯ নম্বরে প্রেরণ করতে হবে। ফিরতি ম্যাসেজ পাওয়ার পর উল্লেখিত সময়ে এসে ডিআরসি গ্রহণ করা যাবে। নির্ধারিত তারিখে সার্টিফিকেট গ্রহণ করা সম্ভব না হলে একই পদ্ধতিতে পুনরায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা যাবে।গ) ডিআরসির প্রতিলিপি (মূল কপি হারিয়ে গেলে) পেতে যা করতে হবে:১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে২। প্রযোজ্য ফি জমাদানের রসিদ নিতে হবে।সংশ্লিষ্ট নমুনা স্বাক্ষর ফরমে ইংরেজিতে নাম, পিতা/স্বামীর নামসহ পূর্ণ ঠিকানা ও ৩ (তিন) কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবিসহ ফরমের অন্য সব তথ্য প্রদান করতে হবে। গাড়িটি কোম্পানি, ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন হলে তাদের নিজস্ব লেটার হেড প্যাডে চিঠি, সংশ্লিষ্ট ফরমে নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজিতে প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানাসহ অন্যান্য তথ্য দিতে হবে।গাড়ির নম্বরসহ ফি জমা রসিদ প্রদর্শন এবং ট্যাক্স, ফিটনেস ও রুট পারমিটের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) হালনাগাদ ফটোকপি, হালনাগাদ না থাকলে গাড়ি সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য অফিসে হাজির করতে হবে। যদি রেজিস্ট্রেশন সনদ হারিয়ে যায়, তবে নিচের তথ্যগুলো দিতে হবে—১.থানার জিডির কপি২. নন এফআইআর মামলা-সংক্রান্ত পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ছাড়পত্র৩. আবেদনকারীর স্বাক্ষরের গরমিল পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর প্রদান ইত্যাদি।এ ছাড়া প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে হেল্প লাইনের ‘০১৭৯০-৫৪০২১০, ০১৭৯০-৫৪০২১১’ ( সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ব্যতীত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত) নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন গ্রাহক। | 359,468 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫৭ | ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫৯ | -1 | null | শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1276851 | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সাড়ে আট বছরে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল।আজ শুক্রবার সাদা দলের অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান সাদা দলের প্রায় ২০০ শিক্ষক।‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে আট বছরে ৯০৭ শিক্ষক নিয়োগ, অনুগতদের নিয়োগ দিতেই অনিয়ম’ শিরোনামে আজ প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করে শিক্ষকেরা এই দাবি জানান।বিবৃতিতে বলা হয়, সাদা দল থেকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক নিয়োগসহ প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক প্রতিবাদ করে আসা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন বরাবরই এই প্রতিবাদকে উপেক্ষা করেছে। এর ফলে পরিস্থিতি এমনই হয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য-সুনাম আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রধান বিচারপতির প্রদত্ত এক আপিলের রায়েও বিষয়টি ওঠে এসেছে।বিবৃতিতে শিক্ষকেরা বলেন, মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। উপযুক্ত শিক্ষকের ওপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম নির্ভর করে। কিন্তু গত কয়েক বছরে শিক্ষক নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে দলীয় অনুগত ব্যক্তিদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক দীর্ঘস্থায়ী সংকটে পড়বে। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ না করা প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া কেবল আইনবিরুদ্ধ নয়, নৈতিকতা পরিপন্থী এবং অমানবিকও বটে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার ফলে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষকদের মধ্যেও মর্মযন্ত্রণা কাজ করে। কিছুসংখ্যক অযোগ্যদের কারণে আজ তাঁদের নিয়োগ নিয়েও কথা শুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে যেসব মেধাবী নিয়োগবঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা হতাশায় ভুগছেন, এমনকি অনেকে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন। | 330,557 |
জামালপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জুন ২০১৬, ০০:৫০ | ২৯ জুন ২০১৬, ০০:৫১ | জামালপুর,আইন ও বিচার | 0 | জামালপুরে দুই জেএমবি সদস্যের কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/902491 | জামালপুরে নিষিদ্ধঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্যকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০০৭ সালের একটি বিস্ফোরক মামলায় গতকাল মঙ্গলবার জামালপুরের যুগ্ম জেলা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক ফাতেমা ইমরোজ এই আদেশ দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার হাজীপুর কুমারগাতি গ্রামের কামরুল হাসান এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান। দুজনই জেলহাজতে রয়েছেন।মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ২১ মার্চ রাতে সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা বাজারে পুলিশের একটি দল ওই দুই জেএমবি সদস্যকে ধরতে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পুলিশের ওপর হাতে তৈরি গ্রেনেড ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পুলিশ জেএমবির সদস্য কামরুল ও হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী থানায় ওই রাতেই দুজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়। | 236,834 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৬ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:৫৮ | ১৬ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:০৫ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | মুরালি এমন খরুচে, ওয়ার্ন এমন বিধ্বংসী! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/685138 | যখন ‘নিয়মিত’ ক্রিকেট খেলতেন, ব্যাটসম্যানদের কাছে ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট তো নিয়েছেনই, ‘কিপ্টে’ মুত্তিয়া মুরালিধরন ব্যাটসম্যানদের বঞ্চিত করেছেন একটু হাত খুলে রান নেওয়ার আনন্দ থেকেও। সেই মুরালি কিনা প্রতি উইকেটের জন্য খরচ করলেন ৯৯ রান!পরিসংখ্যান বলছে, অল স্টারস ক্রিকেট সিরিজে মুরালিধরনের বোলিং গড় ৯৯! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ১৩৪৭ উইকেট যাঁর, তিনিই কি না সিরিজে ৩ ম্যাচে ১২ ওভার বল করে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট! সেই উইকেটটি পেতে শ্রীলঙ্কান অফ স্পিনারকে খসাতে হয়েছে ৯৯ রান! দুই দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অস্ত্র আর ট্রেনিং দুটোই দেখি জমা দিয়ে রেখেছেন মুরালি!বোলিং গড়ের দিক দিয়ে ‘মুরালির চেয়ে একটু ভালো’ তালিকার পরের নাম দুটিও বিস্ময়কর—কার্টলি অ্যামব্রোস ও গ্লেন ম্যাকগ্রা! ওয়াকার পিচে অস্ট্রেলিয়াকে কাঁদিয়ে এক রানে সাত উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে যাঁর, সেই অ্যামব্রোস এই সিরিজে উইকেট নিয়েছেন ১টি, গড় ৮১! আর একই লাইন-লেংথে ক্রমাগত বল করে ব্যাটসম্যানদের বিরক্ত করার জন্য সুখ্যাত ম্যাকগ্রা এই সিরিজে হাত ঘোরাতে ঘোরাতে নিজেই সম্ভবত ‘বিরক্ত’ হয়েছেন। মাত্র ১টি উইকেটই পেয়েছেন, এর জন্য কি না খরচ করতে হলো ৭৫ রান!তবে এখনো এতটুকু মরচে ধরেনি একজনের হাতের আঙুলে। এখনো আগের মতোই স্পিনের মায়াজালে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখতে জানেন। আগের মতোই কিপ্টে, আগের মতোই খুনে। তিনি সাকলায়েন মুশতাক। সিরিজে একটা ম্যাচই খেলেছেন। তাতে ৩ ওভার বল করে ২ উইকেট নিয়েছেন, মাত্র ১২ রান খরচ করে। সিরিজে বোলিং গড় আর ইকোনমি রেট—দুই হিসেবেই সবার সেরা এই সাবেক পাকিস্তানি স্পিনার।বোলিং-এর এই পরিসংখ্যান দেখেই আশ্চর্য হওয়ার ক্ষমতার পুরোটুকু শেষ করে দেবেন না যেন। ব্যাটিং পরিসংখ্যানও যে নিয়ে আসছে চোখ কপালে তোলার হিসাব। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, শুরুটা করা যাক স্ট্রাইক রেট দিয়ে। এই সিরিজে বল প্রতি সবচেয়ে বেশি রান তুলেছেন কে বলুন তো?শেন ওয়ার্ন! তাঁর স্ট্রাইক রেট ৬০০! বীরেন্দর শেবাগই কেবল তিনে এসে ‘ঝামেলা’টি পাকিয়েছেন। না হলে দুই আর চারে আছেন যারা, তাঁদের নামটা শুনুন— গ্রায়েম সোয়ান (২৭৫) ও মুরালিধরন (২০০)। এবার চোখটা কপালে তুলতেই পারেন।একটু ফাঁক-ফোকর আছে পরিসংখ্যানে। ওয়ার্নের এমন এভারেস্ট ছোঁয়া স্ট্রাইক রেট দেখে ভড়কে যাওয়ার আগে শুনে নিন, তিনি রানই করেছেন ৬। তৃতীয় ম্যাচে শেষ ওভারে শেবাগের বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েছেন ওয়ার্ন। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে তাঁর অবদানই এতটুকু।অবশ্য সিরিজের মূল উপজীব্যই ছিল ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া, ব্যাট-বলের লড়াই ছাপিয়ে এখানে সিরিজের নায়ক নস্টালজিয়া। যে সিরিজ দিয়ে গেছে নব্বই দশকের ক্রিকেট-উত্তেজনার ছোঁয়া, তাতে পরিসংখ্যান নিয়ে মাতামাতি করে কোন মুখপোড়া! এ তো ছিল শুধুই ক্রিকেটানন্দে ভেসে যাওয়ার উৎসব! তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো। | 174,658 |
আনোয়ারা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ মে ২০১৫, ০১:২৩ | ২৪ মে ২০১৫, ০১:২৪ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সংস্কার নেই দীর্ঘদিন, বেহাল সড়ক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/535627 | আনোয়ারার উত্তর গুয়াপঞ্চক এলাকার রাজছিলা ফকির মাজার সড়কের অবস্থা এখন বেহাল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির পিচঢালাই উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এ কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের।সরেজমিনে দেখা গেছে, চাতরী চৌমুহনী বাজারের উত্তরে পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়ক থেকে হজরত রাজছিলা ফকিরের মাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া দুই কিলোমিটারের রাজছিলা সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হাঁটাও কষ্টকর হয়ে পড়ছে।স্থানীয় লোকজন জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন গুয়াপঞ্চক গ্রামের মানুষ ছাড়াও উত্তর গুয়াপঞ্চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুয়াপঞ্চক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ সয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।গুয়াপঞ্চক গ্রামের বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র আলী হাসান বলেন, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে অটোরিকশা ও রিকশা আসতে চায় না। এলেও ভাড় হাঁকে বেশি।সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী রিকশাচালক আলী আহমদ বলেন, খানাখন্দে ভরা সড়কে রিকশা চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য গাড়ি চালানোও কমিয়ে দিয়েছি। প্রায় সময় গর্তে পড়ে গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে।ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানান, সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয় পাঁচ বছর আগে। এরপর দিন দিন নাজুক হয়ে পড়লেও কোনো ধরনের সংস্কার করা হয়নি। এখন দুর্ভোগ বেড়েছে। দ্রুত সংস্কার না করলে সামনের বর্ষায় চলাচলে কষ্ট আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, খোঁজ নিয়ে সড়কটি সংস্কারের কাজ করা হবে। তিনি জানান, উপজেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকটি সড়কে সংস্কারকাজ হচ্ছে, তবে ওই তালিকায় এ সড়কটি নেই। | 141,586 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৮ মে ২০১৭, ১১:৪০ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৬ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,আইপিএল,টি টোয়েন্টি ক্রিকেট | null | ফাইনালের অপেক্ষায় কলকাতা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1184591 | দিবারাত্রির ম্যাচ অনেক আগ থেকেই দেখছে ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টির সৌজন্যে ‘নাইট ম্যাচ’ও এখন নিয়মিত। কাল বুধবার বেঙ্গালুরুতে আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছে গভীর রাতে। তাতে অবশ্য বড় অবদান বৃষ্টির। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের চলে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। কাল হায়দরাবাদ হয়তো মনেপ্রাণেই চেয়েছে বৃষ্টিতে ভেসে যাক ম্যাচ। এলিমিনেটরের পরীক্ষায় তাদের স্কোরটা যে খুব বড় হয়নি, ৭ উইকেটে ১২৮ রান করে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। টি-টোয়েন্টিতে এই রান টপকানো কী আর কঠিন! বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে গেলে গ্রুপ পর্বে ভালো পয়েন্ট থাকায় হায়দরাবাদই চলে যেত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। তাতে বিদায় নিত কেকেআর।কিন্তু ক্রিকেট–বিধাতা বোধ হয় এবার হায়দরাবাদকে দুহাত ভরে দিতে চাননি। তাই দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে মাঠ আবার খেলার উপযুক্ত হয়ে উঠল। আম্পায়াররা জানিয়ে দিলেন, ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে কেকেআরকে জিততে হলে ৬ ওভারে করতে হবে ৪৮ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানে ৩ উইকেট হারালেও কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর ৪ বল বাকি থাকতে একাই ম্যাচ জিতিয়ে ফিরলেন। তিনি ১৯ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেন। হায়দরাবাদ আইপিএল থেকে বিদায় নিলেও কলকাতার ফাইনাল নিশ্চিত হয়নি এখনো। কাল একই মাঠে তাদের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সঙ্গে। পুনে এরই মধ্যে চলে গেছে ফাইনালে। কলকাতা নিশ্চয়ই স্বপ্ন দেখছে, মুম্বাই-বাধাটা পেরিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে পুনের বিপক্ষে। | 318,064 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৫ | ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১১ | খেলা,দেশের ক্রিকেট | 0 | শুরুতেই ৬১ নম্বরে মিরাজ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1008401 | প্রথম ইনিংসের ৬ উইকেটসহ ম্যাচে ৭ উইকেট। স্মরণীয় টেস্ট অভিষেকই হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের। বাংলাদেশের অফ স্পিনার এক টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়েই ছাপ রাখলেন র্যাঙ্কিংয়েও। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলেই বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৬১ নম্বরে জায়গা করে নিলেন মিরাজ। বোলারদের সেরা পাঁচেও জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সর্বশেষ অধিনায়ক।মিরাজ ছাড়াও বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম। দুই ধাপ এগিয়ে ১৫ নম্বরে উঠে আসা সাকিবই বাংলাদেশের সেরা বোলার। ব্যাটিংয়ে মুমিনুলকে পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা তামিম ইকবাল। চট্টগ্রামে দুই ইনিংসে ৭৮ ও ৯ রান করে দুই ধাপ এগিয়ে ২৪-এ উঠেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। অভিষেকের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৬৪ রান সাব্বির রহমানকেও শীর্ষ এক শতে জায়গা দিয়েছে। সাব্বির আছেন ৯২ নম্বরে।ব্যাটসম্যান, বোলার ও অলরাউন্ডার তিন বিভাগেরই শীর্ষস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ব্যাটিংয়ে এবং ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন বোলিং ও অলরাউন্ড র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর। চট্টগ্রামের ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে তুলে এনেছে অলরাউন্ড র্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থ স্থানে। তথ্যসূত্র: আইসিসি বিজ্ঞপ্তি। | 259,824 |
-1 | opinion | মতামত | ২৩ আগস্ট ২০১৫, ০০:২০ | ২৩ আগস্ট ২০১৫, ০০:২১ | মতামত,চিঠিপত্র | 0 | অতিবৃষ্টিতে বেহাল সড়ক | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/609739 | এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। এমনিতেই ঢাকা নগরের গলির রাস্তা ভাঙা, তার ওপর এত বর্ষণের কারণে পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এত দিন ঢাকা নগরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিল না, ফলে রাস্তার অবস্থা দেখারও কেউ ছিল না। এখন আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। নির্বাচনের আগে তাঁরা অনেক প্রতিশ্রতিও দিয়েছিলেন, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নের কোনো পদেক্ষপ নেওয়া এখনো শুরু হয়নি। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের চলাচল করাই দায় হয়ে উঠেছে। তার ওপর আবার ফিটনেসবিহীন গণপরিবহনের বিরুদ্ধে সরকার অভিযান শুরু করায় রাস্তায় গণপরিবহন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব কারণে মানুষের যাতায়াত খরচও বেড়ে গেছে, কিন্তু বেশি টাকা দিয়েও স্বস্তি পাওয়ার উপায় নেই। এতে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি আমাদের নানা রকম শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে।একটা শহর এভাবে চলতে পারে না। শুধু ঢাকা নয়, বৃষ্টির কারণে সব শহরের সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রাম ও উপজেলার অবস্থাও তথৈবচ। মহাসড়কগুলোও বেহাল। আমাদের মেয়রদ্বয় টিভিতে কম এসে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হোন। আর যোগাযোগমন্ত্রী রাস্তাঘাটে না ঘুরে সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে মনোযোগ দেবেন। নইলে বেহাল সড়কব্যবস্থা সরকারের জন্য কাল হয়ে উঠতে পারে।সেলিম রেজা, ঢাকা। | 162,421 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৫৫ | ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৪৯ | ক্রিকেট | null | ‘কেন সরে দাঁড়াব?’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1339986 | গত তিন বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ কয়েকবার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যখন টেস্টে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মতো আর কোনো সময়েই দলের নেতৃত্ব নিয়ে এত প্রশ্নের সম্মুখীন হননি মুশফিক।পচেফস্ট্রুম টেস্টের মতো ব্লুমফন্টেইনেও টস জিতে তাঁর ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, অধিনায়ক হয়েও তাঁর সীমানায় ফিল্ডিং নিয়ে কিংবা সংবাদ সম্মেলনে বোলারদের তুলোধুনো করার জন্য। এসব কিছুর পাশাপাশি দুটি টেস্টেই দল নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করায় মুশফিকের নেতৃত্ব এখন কাঠগড়ায়। গুঞ্জন উঠেছে, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে নেতৃত্ব থেকে। ব্লুমফন্টেইন টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব ছাড়া না ছাড়ার সিদ্ধান্তটা বোর্ডের ওপর ছেড়ে দিলেন মুশফিক, ‘হতে পারে। এ সিদ্ধান্তের ভার বোর্ডের ওপর। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্মানটা তাঁরাই আমাকে দিয়েছেন। তাঁরা যদি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে সততার সঙ্গে বলছি, যা ঘটেছে প্রথম দিনের খেলা শেষে সেটাই বলার চেষ্টা করেছি। নিজের সঙ্গে সৎ থেকেছি। কেউ যদি আমার কথা কিংবা কোনো কিছুতে অসন্তুষ্ট হয়, তাহলে আমার কিংবা দলের ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে তাঁদের।’দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টে দল মোটেও ভালো খেলেনি। এমনকি খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের ছিটেফোঁটাও মাঠের খেলায় ফুটে ওঠেনি। ফিল্ডিংয়ের সময় বাংলাদেশ দলকে দেখে মনে হয়েছে, মানসিকভাবে চাঙা রাখার মতোও কেউ নেই! ব্যাটিংয়ে যেন দিগ্ভ্রান্ত পথিক, পথ দেখানোর কেউ নেই! সংবাদ সম্মেলনে তাই প্রশ্ন করা হয়েছিল, নেতৃত্ব থেকে মুশফিকের সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে কি না।কিন্তু মুশফিক বল ঠেলে দিলেন বিসিবির কোর্টে। তাঁর ভাষ্য, ‘কেন সরে দাঁড়াব? এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা নয়, দলীয় খেলা। অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব দায়ভার আমার ওপর বর্তায়। আমি সেটা মেনেও নিচ্ছি। কিন্তু একই সঙ্গে, দেশের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য দারুণ সম্মানের। আমি সত্যিই গর্বিত। তাই এটা হবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত, কারণ সুযোগটা তাঁরা করে দিয়েছেন। পরবর্তী সিরিজের আগে হাতে বেশ সময় আছে, তাঁরা বললে ছেড়ে দেব।’সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে বেশ অভিমানী কণ্ঠে মুশফিক বলেন, ‘আমি সব সময় নিজের সর্বোচ্চটুকু করার চেষ্টা করেছি। টিম ম্যানেজমেন্টও সেই চেষ্টা করেছে। দল ভালো করলে সব প্রশংসা পায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু আমরা খারাপ করলে সব দায় চাপে অধিনায়কের ওপর।’ দলের বাজে হার নিয়ে মুশফিকের ব্যাখ্যা, ‘উপমহাদেশের অনেক দল এখানে এসে কিন্তু খারাপ খেলে। নয় বছর আগে আমরা যে দলটা এখানে এসেছিলাম, তার মধ্যে এ ম্যাচে শুধু দুজন খেলেছি—আমি ও ইমরুল কায়েস। তাই আমাদের নতুন দলের জন্য এটা কঠিন ছিল। তবে সুযোগ ছিল ভালো খেলার। বিশ্বাস ছিল, সবাই আরও ভালো করবে। কিন্তু আমাদের যে সামর্থ্য ছিল, সেটা বিশ্বকে দেখাতে পারিনি। এ জন্য একটু খারাপ লাগছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, দল হিসেবে আমরা এত খারাপ খেলেছি, এটা আসলে আমরা কখনোই আশা করিনি। অন্তত বাংলাদেশ দল থেকে আমরা কখনোই এটা আশা করিনি।’ | 340,583 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ আগস্ট ২০১৫, ০১:৫৭ | ০১ আগস্ট ২০১৫, ০১:৫৯ | সরকার,মহানগর | 0 | সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম মৌলবাদীদের কর্মকাণ্ডের বীজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/590221 | রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংবিধানের মূলনীতিতে রেখে দেওয়ার মধ্য দিয়ে মৌলবাদীদের কর্মকাণ্ড চালানোর বীজ রেখে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে তাহের ও দেশপ্রেমিকদের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নের উল্টোপথে যাত্রা শুরু হয়। জিয়ার নেতৃত্বেই পঞ্চম সংশোধনীতে সংবিধানের মূলনীতি এবং সমাজতন্ত্রের বিকৃত সংজ্ঞা দেওয়া হয়। বাংলা ভাই, আবদুর রহমানের মতো জঙ্গিদের উত্থানও হয় জিয়ার আদর্শের খালেদা জিয়া সরকারের আমলে।‘শহীদ কর্নেল তাহের দিবস’ উপলক্ষে ‘মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির ওপর আঘাত’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কর্নেল তাহের সংসদ। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই কেন্দ্রীয় কারাগারে তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়।তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, জিয়া ঠান্ডা মাথায় কর্নেল তাহেরকে খুন করেছেন। সরকারি আদালত ও জনতার আদালত কর্নেল তাহেরকে দেশপ্রেমিক রায় দিয়েছে আর জিয়াকে রায় দিয়েছে ঠান্ডা মাথার খুনি হিসেবে।খালেদা জিয়াকে ‘আগুন সন্ত্রাসের জননী’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতক্ষণ না এ দেশ থেকে আগুনের সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে পারব, ততক্ষণ দেশে শান্তি ফিরবে না। তাঁদের যদি আগুন সন্ত্রাসী হিসেবে আদালতে প্রমাণ করা যায়, তবে তাঁদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হবে।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, শুধু ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুক্তবুদ্ধি ও গণতন্ত্রের চর্চা সম্ভব নয়। জনগণকে রাজপথে নামতে হবে, মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনোর সভাপতিত্বে সভায় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর আহমেদ, আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি মুশতাক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। | 156,616 |
মো. সিদ্দিকুর রহমান | education | শিক্ষা | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:০৬ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:০৬ | পড়াশোনা | 0 | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | http://www.prothom-alo.com/education/article/933670 | * সংক্ষেপে উত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের অধ্যায়-৫ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করছি।অধ্যায়-৫নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর সংক্ষেপে উত্তরপত্রে লেখো।প্রশ্ন: জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরবাড়ি তৈরি করে আমরা পরিবেশের কী ক্ষতি করছি?উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরবাড়ি তৈরি করার জন্য আমরা বন উজাড় করছি, গাছপালা কেটে বাড়ি তৈরি করে এবং জ্বালানির জন্য গাছের লাকড়ি ব্যবহার করে পরিবেশের ক্ষতি করছি।প্রশ্ন: মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, চিকিত্সা, শিক্ষা ও বাসস্থান—এই চাহিদাগুলো পূরণে মূল সমস্যা কী?উত্তর: মৌলিক চাহিদা পূরণে অন্যতম সমস্যা হলো পরিবারের ওপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাব।প্রশ্ন: জাতিসংঘের তথ্যমতে বাংলাদেশে গৃহহীন লোকের সংখ্যা কত?উত্তর: জাতিসংঘের তথ্যমতে বাংলাদেশে গৃহহীন লোকের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।প্রশ্ন: প্রতিবছর মোট জনসংখ্যার সঙ্গে কত মানুষ যোগ হচ্ছে?উত্তর: প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মোট জনসংখ্যার সঙ্গে যোগ হচ্ছে।প্রশ্ন: গৃহহীন মানুষ কেন শহরে চলে আসছে?উত্তর: সকল দরিদ্র গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করা সরকারের পক্ষে অনেক কঠিন। তাই নিরাপত্তা আর কাজের খোঁজে এসব গৃহহীন মানুষ শহরে চলে আসছে।প্রশ্ন: কী কারণে আমাদের দেশের অনেক মানুষ পর্যাপ্ত চিকিত্সাসুবিধা পায় না?উত্তর: আমাদের দেশে জনসংখ্যার তুলনায় চিকিত্সকের সংখ্যা অনেক কম। এ জন্য এ দেশের অনেক মানুষ পর্যাপ্ত চিকিত্সাসেবা পায় না।# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালসিনিয়র শিক্ষকপ্রগতি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা | 246,207 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:১১ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:১৩ | বাণিজ্য,বিদেশের খবর | 0 | পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য প্রত্যাহার করেছে ভারত | http://www.prothom-alo.com/economy/article/725341 | পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য (এমইপি) প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। ফলে এখন থেকে ভারতের ব্যবসায়ীরা যেকোনো মূল্যে অন্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন। এত দিন প্রতি টন পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ৪০০ মার্কিন ডলারে রপ্তানির বিধিনিষেধ ছিল।ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি সহজ হবে বলে অনেকেই আশা করছেন। কিন্তু দেশের বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা।ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজের এমইপি প্রত্যাহার-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আগে চলতি বছরের আগস্টে ভারত পেঁয়াজের টনপ্রতি এমইপি ৪২৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭০০ ডলারে নির্ধারণ করে। তখন বাংলাদেশের বাজারে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম গিয়ে ঠেকে ১০০ টাকার কাছাকাছি। তাই দাম কমাতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করে। পরে ১১ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজের এমইপি টনপ্রতি ৭০০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪০০ ডলারে নামিয়ে আনে। এখন সেটিও তুলে দিয়েছে।এদিকে ডিসেম্বরের শুরু থেকে দেশের বাজারে ‘মুড়িকাটা’ খ্যাত নতুন পেঁয়াজ এসেছে। প্রায় পুরো জানুয়ারি মাস নতুন এই পেঁয়াজ মাঠ থেকে বাজারে আসবে বলে জানান ঢাকার ব্যবসায়ীরা।জানা যায়, পুরান ঢাকার পাইকারি মোকাম শ্যামবাজারে গতকাল মঙ্গলবার ভারতীয় পেঁয়াজ ২০-২১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দর ১৮-১৯ টাকা কেজি। তবে খুচরা বাজারে দেশি নতুন ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গতকাল এমন তথ্যই দিয়েছে। তবে দেশি পুরোনো পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।জানতে চাইলে শ্যামবাজারের আমদানিকারক প্রদেশ পোদ্দার গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারত সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে পেঁয়াজের দাম কমবে না। কারণ, এত দিন ১ টন পেঁয়াজ ২০০ মার্কিন ডলারে কিনলেও ৪০০ ডলারের ঋণপত্র খুলতে হতো সত্যি। তার মানে এই নয়, আমাদের ওই ২০০ ডলার বেশি দিতে হতো। সেটি আসলে ভারতের ব্যবসায়ীরা পরে সমন্বয় করে দিতেন। কিছুদিন আগে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি ছিল। তাই আমাদের এখানেও বেড়ে গিয়েছিল। এখন ভারতে নতুন পেঁয়াজ আসায় দাম কমে গেছে। সে জন্য তারা এমইপি তুলে নিয়েছে।’শ্যামবাজারের আরেক আমদানিকারক রতন সাহা বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই চাহিদা ও জোগানের ওপর নির্ভর করে বাড়ে-কমে। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না কাল বা পরশু দাম কমবে নাকি বাড়বে?’ তিনি আরও বলেন, দেশে পেঁয়াজের দাম ইতিমধ্যে সংশোধন হয়ে গেছে। বরং দেশের চাষিরা মুড়িকাটা পেঁয়াজে লোকসান গুনছেন। প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ২৫ টাকা হলেও বাজারে বিক্রি করে এর চেয়ে কম দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। | 187,937 |
জামালপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৩৩ | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৩৪ | জামালপুর,ঢাকা বিভাগ,নির্বাচন | 0 | বহিষ্কৃত নেতাকে প্রার্থী করার গুঞ্জন, বিক্ষোভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/837886 | ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুরে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য বহিষ্কৃত নেতাকে বাছাই করার গুঞ্জন উঠেছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।গত ১০ ফেব্রুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পাররামরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ইউপির নির্বাচনে ফজলে রাব্বীকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে বলে দলের নেতা-কর্মীরা বলছেন। এর প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েক শ নেতা-কর্মী গতকাল বিকেল চারটায় ইউনিয়নের উত্তর মোয়ামাড়ি গ্রাম থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি দক্ষিণ মোয়ামাড়ি হাসপাতাল ময়দানে গিয়ে শেষ হয়।ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে পাররামরামপুরে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান লেমন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজালুল মজিদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী জুয়েলসহ আটজন। ফজলে রাব্বীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বিক্ষোভ মিছিল করেন।মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ফজলে রাব্বীকে বহিষ্কার করা হয়। চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে শুধু তাঁর (ফজলে রাব্বী) মতো একজন বহিষ্কৃত নেতার নাম যাওয়াটা সংগঠনের জন্য হতাশাজনক। তিনি কীভাবে দলীয় মনোনয়নের জন্য তালিকায় নাম ওঠালেন, তা সন্দেহের উদ্রেক করছে।’ফজলে রাব্বী বলেন, ‘আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। এখনো তৃণমূল নেতা-কর্মীর মধ্যে আমার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাই ইউনিয়ন থেকে অন্যদের মতো আমিও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। আমার নাম চূড়ান্তভাবে কেন্দ্রে গিয়েছে কি না, তা আমি জানি না।’দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘উপজেলা থেকে ওই ইউনিয়নের আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম জেলায় প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে জেলা নেতারা কার নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন, তা আমার জানা নেই।’ | 222,891 |
খুলনা প্রতিনিধি | education | শিক্ষা | ২৯ আগস্ট ২০১৬, ১৯:২৩ | ২৯ আগস্ট ২০১৬, ১৯:২৪ | জেনে রাখুন,উচ্চশিক্ষা | 0 | খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন শুরু ৫ সেপ্টেম্বর | http://www.prothom-alo.com/education/article/961615 | খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান জানান, আগামী ৩, ৪ ও ৫ নভেম্বর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের, বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত জীববিজ্ঞান স্কুলের এবং বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।৪ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের এবং বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কলা ও মানবিক স্কুলের এবং বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত আইন স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি স্কুলের (অনুষদ) ও একটি ইনস্টিটিউটের অধীন ২৮টি ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও উপজাতি কোটা ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে (বিকেএসপি) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত অতিরিক্ত সাতটি আসনসহ মোট ১ হাজার ২১১টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গত শিক্ষাবর্ষের চেয়ে এবার আসন বেড়েছে ৯৩টি। এবার দুটি নতুন বিভাগ খোলা হচ্ছে। এ দুটি নতুন বিভাগ হলো ইতিহাস ও সভ্যতা এবং আইন ও বিচার বিভাগ। | 254,354 |
ময়মনসিংহ অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩৬ | ২২ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩৬ | ময়মনসিংহ,গৌরীপুর | 0 | গৌরীপুরে ট্রেনে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1298351 | ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরায় দাহ্য পদার্থ ভরা বোতল ছুড়ে মেরেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাতে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটির যাত্রাবিরতির সময়ে এ ঘটনা ঘটে।ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। তখন সাত-আটজন দুর্বৃত্ত ট্রেনের কামরা ও ইঞ্জিন লক্ষ্য করে দাহ্য পদার্থ ভরা ছয়টি বোতল ছুড়ে মারে। জানালার ভেতর দিয়ে একটি কামরার ভেতরে চারটি বোতল পড়ে। বিস্ফোরণ ঘটলেও দাহ্য পদার্থ শক্তিশালী না হওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে স্টেশনের কর্মচারীরা কামরা থেকে একটি বোতল উদ্ধার করেন।শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার রফিক উদ্দিন বলেন, বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটায় রাতেই ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। | 334,297 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুলাই ২০১৪, ১৯:০৬ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:০৮ | -1 | null | কাল খুশির ঈদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/279397 | পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। কাল মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, আজ বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। তাই কাল সারা দেশে ঈদ উদযাপিত হবে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।১৪৩৫ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে আজ সোমবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভায় ধর্মমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান সভাপতিত্ব করেন।আজ বিকেল থেকে অগণিত দৃষ্টি আকাশে খুঁজেছে এক ফালি বাঁকা চাঁদ। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই চাঁদের দেখা মিলেছে। দেশবাসী মেতেছে ঈদের আনন্দে। সরকারি ঘোষণার পাশাপাশি টিভি-বেতারে বাজতে শুরু করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের কালজয়ী সেই গানের সুর ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ...’। পাড়া-মহল্লার মসজিদ থেকে ভেসে আসছে ‘ঈদ মোবারক’ ধ্বনি।ঈদের দিনটি ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ-নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। এদিক থেকে ঈদ কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, উদ্ভাসিত হয় ইসলামের সাম্যের এক বড় পরিচয়।চাঁদ দেখার পর ঘরে ঘরে উপাদেয় খাবারের আয়োজনে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ‘সেমাইয়ের ঈদ’ নামে প্রচলিত এই ঈদে নানা রকম সেমাইয়ের সঙ্গে থাকছে ফিরনি, পিঠা, পায়েস, পোলাও-কোরমাসহ সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। বিশেষ আয়োজন থেকে বাদ যাবেন না রোগী, বন্দী বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত কর্মীরাও।হাসপাতাল, এতিমখানা ও বন্দীদের জন্য কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি শিশু সদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রেও থাকবে বিশেষ খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা।ঈদ উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকাগুলো ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। আর এই আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে আছে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।ঈদের দিন গণভবনে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এবং বেলা সাড়ে ১১টায় কূটনীতিক ও বিচারপতিদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে ঈদের শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদের দিন বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন।বাণীপবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এসব বাণীতে তাঁরা শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করেছেন। | 81,285 |
রাবেয়া সুলতানা | education | শিক্ষা | ০১ জুলাই ২০১৫, ০১:৩৫ | ০১ জুলাই ২০১৫, ০১:৩৮ | পড়াশোনা | 0 | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | http://www.prothom-alo.com/education/article/566743 | অধ্যায়-১০প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।প্রশ্ন: আমরা বাড়িতে কীভাবে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারি?উত্তর: গণতান্ত্রিক মনোভাব একটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণ। বাড়িতে গণতান্ত্রিক চর্চার মূলকথা হলো পরিবারের সবার মতকে সম্মান করা এবং সবাই মিলে আলোচনা করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া। সকলের পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মা-বাবা, ভাইবোন ও অন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যেমন—১. প্রতিদিনের খাবারের তালিকা কেমন হবে?২. কীভাবে ঘর সাজাব?৩. ঘরের কী জিনিস কিনব?৪. কোথায় ও কীভাবে বেড়াতে যাব?৫. উত্সব অনুষ্ঠানে কী করব?এভাবেই আমরা বাড়িতে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারি।প্রশ্ন: আমরা শ্রেণিকক্ষে ও বিদ্যালয়ে কীভাবে গণতন্ত্র চর্চা করব?উত্তর: শ্রেণি ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে আমরা গণতান্ত্রিক আচরণ করব। অধিকাংশের মত অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করব। শ্রেণির বিভিন্ন কাজ, যেমন- চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ গোছানো, শ্রেণিকক্ষ সাজানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা ইত্যাদি সম্পর্কে সব সহপাঠীর সঙ্গে আলোচনা করব। অধিকাংশের মতামত নিয়ে কাজগুলো সম্পন্ন করব।বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বনভোজন ইত্যাদি সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করব এবং পরস্পরকে সহায়তা করব।প্রশ্ন: শ্রেণিনেতা নির্বাচিত করতে একজন শিক্ষক কী পদ্ধতি অনুসরণ করবেন?উত্তর: শ্রেণিতে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করতে একজন শিক্ষক প্রথমে কারা শ্রেণিনেতা হতে ইচ্ছুক, সেটা জেনে নেবেন। যদি পাঁচজন শিক্ষার্থী ইচ্ছা প্রকাশ করে তবে তাদের নাম বোর্ডে লিখবেন। যেহেতু মাত্র দুইজনকে শ্রেণিনেতা বানানো হবে, তাই পাঁচজনের মধ্য থেকে সবার মতামতের ভিত্তিতে দুজনকে নির্বাচন করা হবে। সব শিক্ষার্থীকে দুই টুকরা করে কাগজ দিয়ে বোর্ডে লেখা নামগুলো থেকে তাদের পছন্দের দুইজন শিক্ষার্থীর নাম দুটি কাগজে লিখে ভাঁজ করে একটি বাক্সে রাখতে বলবেন। এভাবে সবার মত নেওয়া সম্পন্ন হলে শিক্ষক কাগজগুলো খুলে গণনা করবেন এবং কার পক্ষে কয়জন মত দিয়েছে, তা বোর্ডে লেখা নামগুলোর পাশে লিখবেন।এভাবে যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে, তাকে করা হলো প্রথম শ্রেণিনেতা। আর যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে, সে নির্বাচিত হলো দ্বিতীয় শ্রেণিনেতা। সবার মতামত নিয়ে শ্রেণিনেতা নির্বাচিত হয়েছে বলে সবাই হাসিমুখে তাদেরকে বরণ করে নেবে।# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালশিক্ষক, বিয়াম ল্যবরেটরি স্কুল, ঢাকা | 149,373 |
-1 | opinion | মতামত | ১৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০৩ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০৩ | চিঠিপত্র,মতামত | 0 | সমবায়ীদের ভোগান্তি | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/738196 | সমবায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনীতি চাঙা করতে পারে। কিন্তু এ খাতের প্রতি সরকারের বিভিন্ন মহলের বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে খাত হিসেবে এটি দাঁড়াতে পারছে না।উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ঋণের মর্টগেজ ফি বাবদ বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ খরচ এক কোটিতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। অন্যদিকে সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে তার হার ঋণের ৫ শতাংশ (প্রতি কোটিতে পাঁচ লাখ টাকা)।দুই বছর ধরে এই অবিচারের প্রতিকার চেয়েও আমরা পাইনি। আমলতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে পড়ে আমাদের চিঠি একবারএই টেবিলে তো আরেকবার ওই টেবিলে যাচ্ছে। সুরাহা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে, এই সমস্যার সমাধান হলে কেবল আমাদেরই উপকার হবে না, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকাও সচল হবে।ইয়াকুব আলী খান, ঢাকা। | 192,058 |
বাণিজ্য ডেস্ক | economy | অর্থনীতি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৩ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৩ | -1 | 0 | বিভিন্ন স্থানে চামড়ার বাজারে অস্থিরতা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1312196 | কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচায় এবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা চলছে। কোথাও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশ কম দামে চামড়া কিনে চড়া দামে বড় ব্যবসায়ী বা আড়তদারের কাছে বিক্রি করেছেন। কোথাও মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা মাঠপর্যায় থেকে বেশি দামে কিনে আড়তে কম দামে, অর্থাৎ লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। আবার কোথাও বাইরের ব্যবসায়ীরা এসে বেশি দামে চামড়া কেনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় পড়েছেন।এদিকে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের প্রধান উপাদান লবণের সংকট ও দাম তীব্র আকার ধারণ করেছে প্রায় সব জায়গায়। এ কারণে এবার গুণমান বজায় রেখে চামড়া সংরক্ষণ করা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। খবর আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো: বগুড়া প্রতিনিধি জানান, সরকারিভাবে চামড়ার দর বেঁধে দেওয়া হলেও বৃহত্তর বগুড়া জেলায় মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা তা মানেননি। অভিযোগ উঠেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শহর-গ্রামনির্বিশেষে সর্বত্রই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা ভাগাভাগি করে নেন এবং নিজেদের ইচ্ছেমতো কম দামে চামড়া কেনেন। এখন তাঁরা বেশি দামে পাইকারি ব্যবসায়ী ও ট্যানারির মালিকদের কাছে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের মুনাফা লুটছেন।তবে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্যবার ট্যানারির মালিকেরা আগে থেকে চামড়ার দর বেঁধে দিলেও মাঠপর্যায়ে অনেক বেশি দামে চামড়া কেনাবেচা হতো। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হতো মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। এবার তাঁরা সেই ঝুঁকি নেননি। কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী অবশ্য জানান, তাঁরা আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুঁজি নিয়ে তাঁদের বলে দেওয়া দামেই কোরবানির পশুর চামড়া কিনেছেন।বগুড়া শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগঞ্জে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এবার ৪০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ১,২০০ টাকায় ও ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ১,৩০০ থেকে ১,৬০০ টাকা দরে কিনেছেন। এসব চামড়া তাঁরা পাইকারি বাজারে বিক্রি করেছেন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দামে। এ ছাড়া খাসি-বকরির চামড়া কেনাবেচা হয়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা দরে।বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী পানির ট্যাংকি মোড়ের ফজলুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘গতবার ৭০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া বিক্রি করেছি দেড় হাজার টাকায়। এবার একই দামের গরুর চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে ১,২০০ টাকায়।’বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক ফারুক আহমেদ বলেন, অন্যবার চামড়া কেনার জন্য মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ধরনা দিয়েছেন। এবার তাঁদের কাছে চামড়া নিয়ে ধরনা দিতে হয়েছে বিক্রেতাদের।জানতে চাইলে বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. শোকরানা প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর তিনি চামড়া কেনেননি। কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা নিয়ে অরাজকতার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।একই সমিতির কোষাধ্যক্ষ জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, লবণের বাজার ঊর্ধ্বগতি, উত্তরাঞ্চলে ট্যানারি না থাকা এবং ঢাকার ট্যানারির মালিকেরা উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের বিপুল অঙ্কের পাওনা পরিশোধ না করায় এবার চামড়ার বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে।দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, এবার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের চামড়াপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা কম দরে বিক্রি করতে হয়েছে। উপজেলার তারাজুন গ্রামের ফড়িয়া আলেব্বর আলী বলেন, তিনি সারা দিন গ্রামে ঘুরে নগদ টাকায় চামড়া কিনে তা কম দামে এবং বাকিতে মহাজনদের কাছে বিক্রি করেছেন।বাজারদিঘি গ্রামের ফড়িয়া এনামুল হক বলেন, তিনি বড় আকারের গরুর চামড়া ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ টাকা, মাঝারি আকারের চামড়া ৯০০-১০০০ টাকা এবং ছোট আকারের চামড়া ৬০০-৭০০ টাকা দামে কিনেছেন। তাতেও লোকসানে বিক্রি করতে হয়েছে।স্থানীয় মহাজন হাসান আলী বলেন, ‘ঢাকার ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার চামড়া কিনতে কোনো টাকা অগ্রিম দেননি। লবণের দামও বেশি। কাঁচা চামড়া কিনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে চামড়াপ্রতি ২০০ টাকার মতো খরচ পড়ে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে চামড়া কিনছি। কী হবে বলা যাচ্ছে না।’দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, বাড়তি কিছু আয়ের আশায় চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায় নেমে অনেকেই এবার ধরা খেয়েছেন। দুখিয়া নামের তেমনই এক ব্যবসায়ী দিনাজপুর সদরের রামনগর এলাকার মোকামে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা দামে গরুর চামড়া কিনেছেন, সেগুলো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সভাপতি তৈয়ব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ট্যানারির মালিকদের কারণে আজ চামড়াশিল্প ধ্বংসের পথে। তাঁরা কোনো টাকা দেন না। তাই তাঁরা চামড়া কিনতে পারছেন না। এবার গরুর প্রায় ২০ হাজার ও ছাগলের ৫০ হাজার চামড়া কিনতে পেরেছেন, যা গত বছরের অর্ধেক। এ ছাড়া লবণের দাম অনেক, ৫০ কেজির বস্তা ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আক্তার আজিজ বলেন, সব সুযোগ-সুবিধা ট্যানারির মালিকেরা পান। অথচ দুই বছর আগের টাকাও কোনো কোনো ট্যানারির মালিক এখনো পরিশোধ করেননি। কাঁচা চামড়া কিনতে জেলা পর্যায়ে ব্যাংকগুলো কোনো ঋণ দেয় না।রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এ বছরও কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কম হওয়ায় প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন। কারণ উপজেলায় চামড়ার প্রধান মোকাম রায়গঞ্জ পৌরসভার ধানগড়া হাটে গত কয়েক বছরের মতো এবারও বাইরের কোনো ক্রেতা না আসায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেওয়া দামেই কেনাবেচা হচ্ছে চামড়া। এই হাটে চামড়া নিয়ে আসা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, বড় ও ভালো মানের চামড়া ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা দামে কিনে এনেও তাঁরা লাভ করতে পারেননি। কেনা দামেই বিক্রি করতে হয়েছে চামড়া। এখানে ছোট ও খারাপ মানের প্রতিটি গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের চামড়া সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।ধানগড়া এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার আবহাওয়া বুঝে যাঁরা চামড়া কিনেছেন, তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়েননি।মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের মনু নদের পারে গড়ে ওঠা শত বছরের পুরোনো বালিকান্দি চামড়ার বাজারসহ মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন আড়তের ব্যবসায়ীরা এবার চামড়া কেনায় কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন। কারণ ঈদের আগে কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে আসা বড় ব্যাপারী ও ব্যবসায়ীরা সরাসরি মাঠপর্যায় থেকে বেশি দামে চামড়া কিনে নিচ্ছেন। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া ও লবণ কিনে এবং শ্রমিকের খরচ দিয়ে মুনাফা করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন। | 336,579 |
রেডিও ফ্রি এশিয়া | international | আন্তর্জাতিক | ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৪৩ | ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৪৪ | এশিয়া | null | ‘মালয়েশিয়ার উদ্যোগ অপমানকর’ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1050437 | মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় অশান্ত রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়ার একটি মুসলিম সংস্থা সহায়তা পাঠানোর যে পরিকল্পনা করেছে, তাকে ‘অপমানকর’ বলে মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিউ সুই। দেশটির কেন্দ্রীয় মানব পাচার প্রতিরোধ সংস্থার সঙ্গে বৈঠক শেষে গত শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।মালয়েশিয়ার ওই সংস্থা রোহিঙ্গাদের জন্য ২০০ টন চাল, চিকিৎসা-সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম-সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। সরঞ্জামবাহী ওই নৌযানগুলো ১০ জানুয়ারি রওনা হওয়ার কথা। এ বিষয়েই কেন্দ্রীয় মানব পাচার প্রতিরোধ সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের সেনা-সমর্থিত সাবেক সরকারের সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রী এবং পরে বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিউ সুই। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা মেনে নেওয়া অসম্ভব, কারণ এর কোনো মানে নেই। সরকারি পর্যায়ে কাজটা হতে হবে। তারা সরাসরি রাখাইন রাজ্যে চলে যেতে পারে না। যদি তারা এটা করতে চায়, তবে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে অবশ্যই অবহিত করতে হবে।এর আগে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র জ্য তে গত বুধবার বলেন, মিয়ানমারে প্রবেশের জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি মালয়েশিয়ার ওই সংস্থা। যদি তারা অনুমতি না নিয়েই প্রবেশ করে, তাহলে নৌযানগুলো ঝুঁকিতে পড়বে, এমনকি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের থামাতে কিংবা আক্রমণ করে বসতে পারে এবং যানগুলোয় থাকা সদস্যদের ফেরত পাঠানো হতে পারে।এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সরকার রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য খাবার, শিশুখাদ্য ও কাপড় বোঝাই ১০টি জাহাজ পাঠিয়েছে রাখাইনে। গত ১৯ ডিসেম্বর আসিয়ানের বৈঠকে রাখাইনের সংকটকে কেন্দ্র করে আলোচনার সময় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কাছে তাঁর দেশে মানবিক সহায়তা পাঠাতে নির্বিঘ্ন প্রবেশের সুযোগ চায় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সরকার।এদিকে রাখাইন রাজ্যের কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তিনটি পোস্টে গত ৯ অক্টোবরের হামলার ঘটনায় কোদি মুলা ও মামত আরলং নামে আরও দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত এ রাজ্যে প্রায় ৬০০ ব্যক্তিকে আটক করা হলো। এ ছাড়া সেনা অভিযানে প্রায় ৯০ জন নিহত হয়েছে।রাজ্য কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে, মংডু পৌরসভার গুয়াসোন গ্রাম থেকে গত বৃহস্পতিবার একজন গ্রাম প্রশাসককে ছয়জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি অপহরণ করেছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। | 279,165 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৫১ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৫২ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকিট | http://www.prothom-alo.com/sports/article/150121 | শ্রীলঙ্কা সিরিজের মতো আসন্ন এশিয়া কাপের টিকিটও বিক্রি করবে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল)। ২৫ ফেব্রুয়ারি শুরু এশিয়া কাপের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে।কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি ও ইউসিবিএল যৌথভাবে দিয়েছে এই ঘোষণা। টিকিট পাওয়া যাবে ব্যাংকটির ঢাকার মিরপুর, মিরপুর সড়ক (ধানমন্ডি), বিজয়নগর, উত্তরা ও বসুন্ধরা শাখায়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের টানবাজার, চাষাঢ়া ও পাগলাবাজার শাখায়ও মিলবে টিকিট। ইউসিবিএলের এসব শাখার বাইরে সারা দেশ থেকে টিকিট কেনা যাবে মোবিক্যাশের মাধ্যমেও।ফতুল্লা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচগুলোর টিকিটের দাম পূর্ব গ্যালারি ২০০, পশ্চিম গ্যালারি ৪০০, ক্লাব হাউস ৬০০, আন্তর্জাতিক গ্যালারি ৮০০ ও গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড ৪ হাজার টাকা করে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ম্যাচের টিকিটের দাম পূর্ব গ্যালারি ২০০, উত্তর ও দক্ষিণ গ্যালারি ৪০০, শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড ৬০০, ভিআইপি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড ৮০০ এবং উত্তর ও দক্ষিণ গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড ৪ হাজার টাকা করে। টিকিটের দামের সঙ্গে যোগ হবে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর। | 52,232 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৪৭ | ২৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৮:১৭ | আন্তর্জাতিক,এশিয়া | null | কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে দুই কোরিয়া সম্মত | http://www.prothom-alo.com/international/article/1478211 | কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে একমত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। আজ শুক্রবার ঐতিহাসিক সম্মেলন শেষে দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানেরা এ ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে জারি থাকা যুদ্ধবিরতিকে একটি শান্তিচুক্তিতে রূপান্তরিত করার বিষয়েও মতৈক্যে পৌঁছেছেন তাঁরা।বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মুন জে-ইন। সীমান্তে এক বৈঠকের এমন ঘোষণা আসে। চলতি বছরের মধ্যেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জারি থাকা যুদ্ধবিরতিকে একটি শান্তিচুক্তিতে রূপ দেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা।অথচ কয়েক মাস আগেই দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কাজ দুটি দেশ কীভাবে এগিয়ে নেবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি আদৌ আর এগোবে কি না এবং উত্তর কোরিয়া তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কিছু বিশ্লেষক।শুক্রবার সকালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সামরিক সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। সীমান্তে কিমকে স্বাগত জানিয়ে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। কোরীয় যুদ্ধ-পরবর্তী ৬৫ বছরে এই প্রথম উত্তরের কোনো নেতা দক্ষিণে পা রাখেন। দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমের পিস হাউসে তিনি বৈঠক করেন দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জে-ইনের সঙ্গে। বৈঠকের আগে দুই নেতা হাসিমুখে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলান।বৈঠকের পর এক বক্তৃতায় কিম জং-উন বলেন, এ অঞ্চলের ‘দুর্ভাগ্যজনক ইতিহাসের’ পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে জন্য দুই দেশের নেতাদের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এর মধ্যে অনেক প্রতিবন্ধকতা ও হতাশা থাকতে পারে। কিন্তু যন্ত্রণা ছাড়া বিজয় অর্জন করা যায় না।দুই দেশের দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুই কোরিয়ার মধ্যকার ‘সহিংস কর্মকাণ্ড’ বন্ধ করতে একমত হয়েছেন শীর্ষ নেতারা। আঞ্চলিক সামরিক উত্তেজনা কমাতে অস্ত্রের মজুত কমিয়ে আনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চালানো হবে। কোরীয় যুদ্ধের কারণে বিভক্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া সীমান্তসংলগ্ন এলাকাকে ‘পিস জোন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই কোরিয়া।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনকে উত্তর কোরিয়ায় সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কিম জং-উন। বিকেলের অধিবেশনে দুই নেতা সীমান্তে বৃক্ষরোপণ করেন। মোট নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া যান কিম জং-উন। এই দলের সদস্য ছিলেন তাঁর বোন কিম ইয়ো-জং। | 362,233 |
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:১৯ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২০ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,অপরাধ | 0 | আসামি সভাপতি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/701146 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়ার নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। নজরুল ইসলামের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীরের দায়ের করা মামলায় বিল্লাল মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। | 180,052 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৭ জুলাই ২০১৭, ০১:২৫ | ১৭ জুলাই ২০১৭, ০১:২৬ | শেয়ারবাজার | 0 | ডিএস–৩০ সূচক থেকে বাদ পড়ল তিন কোম্পানি | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1254656 | বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএস-৩০ সূচক থেকে তিনটি কোম্পানি বাদ পড়ছে। অর্ধবার্ষিক পুনর্মূল্যায়ন শেষে নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করতে না পারায় এ তিনটি কোম্পানিকে সূচক গণনা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৩ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ডিএসইর সূচকবিষয়ক কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক গণনা থেকে যে তিনটি কোম্পানি বাদ পড়ছে সেগুলো হলো বাটা শু, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম। এ তিন কোম্পানির স্থলে নতুন করে ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হবে পূবালী ব্যাংক, পদ্মা অয়েল ও ইফাদ অটোস। ভালো মৌলভিত্তির ও বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে ডিএস-৩০ সূচকটি গঠিত। ডিএস-৩০ সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচকটিও পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। ওই সূচকে অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে নতুন কোম্পানি যাচাই-বাছাই করে সূচকবিষয়ক কমিটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কোম্পানি মানদণ্ডে উন্নীত না হওয়ায় ডিএসইএক্স সূচকে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৪৫ পয়েন্টে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হওয়ার পর এটিই ডিএসইএক্সের সর্বোচ্চ অবস্থান।ডিএসইএক্সের মতো নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস। গতকাল দিন শেষে এ সূচকটি ১ হাজার ৩২৭ পয়েন্টের রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। নতুন রেকর্ড হয়েছে ডিএসইর বাজার মূলধনেও। এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে সূচক ও বাজার মূলধন মিলিয়ে তিনটি রেকর্ড হয়েছে।দিন শেষে ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২৫৪ কোটি টাকা বেশি।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি গতকাল প্রায় ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১২৬ পয়েন্টে। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২০ কোটি টাকা বেশি। | 326,885 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৫৪ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৫৪ | বিশাল বাংলা | 0 | সহমর্মিতা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1039051 | পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষকের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার এক শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা। গতকাল সোমবার ঘুড়কা ইউনিয়নে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তাঁরা সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি টি এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে নিজেরা করির অঞ্চল সমন্বয়কারী আছাবুর রহমান, প্রশিকার এলাকা সমন্বয়কারী আবদুল করিম, দীপশিখার প্রকল্প ব্যবস্থাপক এরশাদ আলী প্রমুখ। রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি | 274,045 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৩ জুন ২০১৬, ১৮:২৫ | ১৩ জুন ২০১৬, ১৮:৩৮ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | গেইল রেকর্ড ভেঙে দেবেন, শঙ্কায় ছিলেন লারা! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/886792 | ক্রিস গেইলের আত্মজীবনী অনেক বিতর্কের রসদ। প্রকাশিত হওয়ার আগেই এই বই ছড়িয়েছে বিতর্কের আগুন। কোনো রাখঢাক না রেখেই গেইল নিজেকে প্রকাশ করেছেন তাঁর আত্মজীবনীতে। ধার ধারেননি সম্পর্কের, ভাবেননি কে কী ভাবছে এ নিয়ে। বইয়ের একটা অংশে ব্রায়ান লারাকে নিয়ে বলেছেন। বলেছেন, ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে লারা নাকি নিজের রেকর্ড নিয়ে যথেষ্ট ভীত ছিলেন। আশঙ্কা করছিলেন, গেইল আবার তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ডটি না ভেঙে দেয়! গেইল সেই টেস্টে আউট হয়েছিলেন ৩১৭ রানে।‘কিছু খেলোয়াড় আসলেই রেকর্ড নিয়ে ভাবে’—আত্মজীবনী গ্রন্থ সিক্স মেশিন : আই ডোন্ট লাইক ক্রিকেট... আই লাভ ইট-এ ব্রায়ান লারাকে উদ্দেশ করেই বলেছেন গেইল। অ্যান্টিগা টেস্টের স্মৃতি বর্ণনা করেছেন এই ভাবে, ‘ওই ম্যাচে ব্রায়ান লারা ৪ রানে আউট হওয়ার পর সাজঘরে এসে বসলেন। একটা বই পড়তে শুরু করলেন। মাঝেমধ্যে বারান্দায় গিয়ে স্কোরবোর্ডের দিকে চোখ রাখছিলেন। বের হয়ে যখনই দেখলেন তাঁর রেকর্ডের কাছাকাছি চলে যাচ্ছি, তখন খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল তাঁকে।’লারার এই আচরণ অদ্ভুতই ঠেকছিল গেইলের কাছে। এমন একটা ইনিংস খেলার সময় দলের সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে লারা তাঁকে উপদেশ দেননি, কোনো প্রশংসাও নাকি করেননি, ‘মধ্যাহ্নবিরতির সময় আমি যখন সাজঘরে এলাম, তখন তিনি আমার সঙ্গে কোনো কথাই বললেন না—একটু পিঠ পর্যন্ত চাপড়ে দিলেন না। কোনো পরামর্শ দিলেন না। আবার বই পড়া শুরু করলেন। চিন্তিত মুখে একই কাজ করতে থাকলেন—একবার বারান্দায় গিয়ে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকানো, আবার ভেতরে ঢোকা।’ | 231,633 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫১ | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫২ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | জাটকা জব্দ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/508345 | নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ফতুল্লা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২০ মণ জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড পাগলা স্টেশনের সদস্যরা। গতকাল সোমবার সকালে ওই অভিযানে জাটকাগুলো জব্দ করা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আটক জাটকার আনুমানিক মূল্য টাকা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। জাটকাগুলো পরবর্তীকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। | 132,898 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:০১ | ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪৫ | আইন ও বিচার | null | জাবালে নূরের মালিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1562612 | শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাত হোসেনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস এই অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় আগামী ১ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত। আসামিরা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।গত ৬ সেপ্টেম্বর ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।ছয় আসামি হলেন জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই চালকের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ। শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন বাসটির চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়।অভিযোগপত্রে বলা হয়, চালক ও চালকের সহকারীরা বেশি যাত্রী ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা না শুনে, তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ায়। ঘটনার দিনদুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪-১৫ জন ছাত্রছাত্রীদের ওপর বাস উঠিয়ে দেন চালক মাসুম বিল্লাহ। ঘটনাস্থলে দুজন শিক্ষার্থী মারা যায়। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সেদিন বাস দুটি দুই থেকে তিন বার ওভার ট্রেকিং করেন।গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তার ওপর জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস রেষারেষি করে। একপর্যায়ে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। নয়জন আহত হয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)।এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।পরে অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের তিন বাসের তিন চালক এবং তাঁদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ১ আগস্ট র্যাবের পক্ষ থেকে জাবালে নূরের একটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনকে (৬০) গ্রেপ্তারের খবর জানানো হয়।তদন্ত সূত্রে জানা যায়, জাবালে নূরের যে তিনটি বাসের রেষারেষিতে এই ঘটনা ঘটে, সেগুলোর নিবন্ধন নম্বর হলো ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯২৯৭, ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৫৭ ও ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৫৮০। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯২৯৭ নম্বর বাসের চাপায় মারা যায় দুই শিক্ষার্থী। এই বাসটি চালাচ্ছিলেন মাসুম বিল্লাহ। ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৫৭ নম্বর বাসের চালক ছিলেন জুবায়ের। আর ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৫৮০ নম্বরধারী বাসটির চালক ছিলেন সোহাগ।সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য, ২৯ জুলাই দুর্ঘটনার ক্ষেত্র তৈরি হয় তিনটি বাসের চালকদের রেষারেষির কারণে। | 380,576 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৪:৩৩ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৪:৩৬ | ইউরোপ | 0 | শান্তিরক্ষী চাইলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট | http://www.prothom-alo.com/international/article/456301 | ইউক্রেনে চলমান ‘দুর্বল’ যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ অনুমোদিত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন সেনাবাহিনী ও রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে।আজ বুধবার নিরাপত্তা প্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠকে পোরোশেঙ্কো বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পুলিশ বাহিনী পাঠালে সবচেয়ে ভালো হয়। আমরা নিশ্চিত এটি সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে।’১২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন, রাশিয়া, বিদ্রোহী ও অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসইসি) প্রতিনিধিরা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তির ফলে ১০ মাস ধরে চলতে থাকা সংঘর্ষের সমাপ্তি ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু এ চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে শুরু থেকেই সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছে ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউক্রেন। এর মধ্যেই যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ শান্তিরক্ষী বাহিনী চাইলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। | 116,591 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ মে ২০১৪, ১৫:০০ | ২০ মে ২০১৪, ২০:১৪ | রাজনীতি | null | ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে সুরঞ্জিতের পরামর্শ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/220960 | ভারতের নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমির এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এ পরামর্শ দেন।সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘হাবিল-কাবিল দিয়ে কিছু হবে না। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দৃঢ় ও স্পষ্ট করতে হবে, সেখানে সবার গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বমূলক অবস্থান রাখতে হবে।’ তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ও অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে দুই দলকেই একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।সুরঞ্জিত বলেন, বিএনপি জন্ম থেকেই ভারতবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। এখন সাম্প্রদায়িক মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে সম্পর্ক বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। এসব করার আগে তাদের জনসমক্ষে ঘোষণা দিতে হবে, তারা ভারতবিরোধী নীতিতে নেই। এরপর তাদের অন্য কথা।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘তাঁকে নিয়ে আমি কিছু বলি না। কিন্তু ইদানীং মনে হচ্ছে ফখরুল সাহেবের ভাষার প্রতি সংযমের অভাব দেখা দিয়েছে। তাঁদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, এই সরকার অবৈধ না। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত। বড় ধরনের পরিবর্তন না হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে মোদি সরকার গঠন করেছে। ভারত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরা আশা করি, দেরিতে হলেও সীমান্ত চুক্তিসহ বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান হবে।’সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শেখ ইশতিয়াক হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ। | 74,582 |
জামালপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৮ | ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৮ | জামালপুর,বিশাল বাংলা,সরকার | 0 | দেশে ডিজিটাল ভূমি তথ্যভান্ডার হচ্ছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1063131 | ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, ‘সারা দেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ভূমির ডিজিটাল তথ্যভান্ডার থেকে রেকর্ড ও নকশা দেওয়া হবে। ভূমির মালিকেরা দাগ, খতিয়ান ও নকশা কম্পিউটারে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। আগের মতো হারিয়ে যাওয়া, মুছে ফেলা, ছিঁড়ে ফেলা বা পরিবর্তন হওয়ার কোনো ভয় থাকবে না। জমির মালিকানা পরিবর্তন হলে আপডেটও করা যাবে। বারবার জরিপ করা লাগবে না। এতে জমির মালিকানা বিরোধ অনেক কমে যাবে।’গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের সেটেলমেন্ট কার্যালয় মাঠে ‘ডিজিটাল রেকর্ড প্রকাশনা ও সমন্বিত ডিজিটাল ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ওই সব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ খুব কম। প্রতিদিন জমির চাহিদা ও মূল্য বাড়ছে। দুর্বল জমির মালিকেরা শঙ্কার মধ্যে থাকেন। আমরা কোনোভাবেই জমির মালিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে দেব না। দেশে নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ভূমির অধিকার যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নকে এই প্রকল্প এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে জরিপ কার্যক্রমে পৃথিবীর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি স্তরে জমির মালিকদের অংশগ্রহণ ও মতামত গ্রহণ করা হয়েছে; যা অতীতের জরিপ ও রেকর্ড কার্যক্রম থেকে ব্যতিক্রম। বর্তমান সরকার ভূমির মালিকানাকে নিরাপদ ও টেকসই করার পাশাপাশি ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। ভূমিহীনদের মধ্যে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া ও বাস্তুহীন মানুষের জন্য বাসস্থান তৈরি করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন, দেশে কোনো মানুষ বাস্তুহীন থাকবে না। ২০১৮ সালের মধ্যে ৫০ হাজার পরিবারকে গৃহ সংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘স্ট্রেনদেনিং অ্যাকসেস টু ল্যান্ড অ্যান্ড প্রোপার্টি রাইটস ফর অল সিটিজেনস অব বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় জামালপুরের জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের মাঠে ‘ডিজিটাল রেকর্ড প্রকাশনা ও সমন্বিত ডিজিটাল ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আবদুল আহাদ। এতে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামালপুর-৫ আসনের সাংসদ মো. রেজাউল করিম হীরা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মেছবাহ উল আলম, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান ও প্রকল্পের দাতা সংস্থা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মারিও রনকোনি। | 285,300 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:৫৮ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:০০ | হলিউড,আনন্দ | 0 | প্রেমিকা চাই ফরাসি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/44681 | হূদয়ে এখনো টু-লেট ঝুলছে। হূদয় সিংহাসনটা এখনো দখলে নিতে পারেনি কেউ। ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের রেখে যাওয়া শূন্যস্থানটা শূন্যই আছে। তবে শিগগিরই সেটা পূরণ করে দিতে চলেছেন রবার্ট প্যাটিনসন। তবে এবার দেখে-শুনে-বুঝে প্রেমিকা নির্বাচন করবেন তিনি। এবং এই অভিনেতার খায়েশ জেগেছে, এবার প্রেমিকা হিসেবে বেছে নেবেন ফরাসি কোনো তরুণীকেই। সম্প্রতি একটি ফরাসি সুগন্ধির প্রচারাভিযানে নেমেছেন প্যাটিনসন। সেই বিজ্ঞাপন করার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়েই ২৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা বলেছেন, ‘আমার একটা ফরাসি প্রেমিকা থাকলে ভালোই তো হতো।’ অবশ্য বাজারে গুঞ্জন আছে, এরই মধ্যে এক ফরাসি প্রেমিকা বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। সেই বিজ্ঞাপনের বদৌলতেই নাকি মডেল কামিল রোর সঙ্গে বেশ জমেছে প্যাটিনসনের! | 14,489 |
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩৯ | ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:০৯ | অপরাধ,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,ছিনতাই | null | ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার ৫০ শিক্ষার্থী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1591140 | ঘুরতে গিয়ে ছিনতাই ও মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ থেকে অন্তত ৩ কিলোমিটার অদূরে চালন্দা গিরিপথ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রামদার আঘাতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন আহত হন।ছিনতাইয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা নৃবিজ্ঞান, আরবি, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের বিভিন্ন বর্ষে অধ্যয়নরত।ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় চালন্দা গিরিপথে ঘুরতে যান তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ২৫টি মুঠোফোন, ৬টি হাতঘড়ি ও টাকা ছিল। গিরিপথ থেকে চলে আসার সময় ৬ জন ছিনতাইকারী তাঁদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। এ সময় ছিনতাইকারীরা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পাশাপাশি আনোয়ার হোসেনকে রামদা দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে। পরে আনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। | 399,780 |
রোকেয়া রহমান | opinion | মতামত | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:০৫ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:০৮ | -1 | null | স্বাভাবিক জীবনে কি ফেরা হবে তাঁদের? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1053315 | রাজধানীর আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় আত্মসমর্পণকারী দুই নারী জঙ্গি জেবুন্নাহার শিলা ও তৃষা মণি এখন অনুতপ্ত। তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় এ খবর ছাপা হয়েছে। এই তথ্য খুবই আশাপ্রদ। নিজেদের কর্মকাণ্ডে অনুতপ্ত হয়ে যদি কেউ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, তাকে অবশ্যই স্বাগত জানানো উচিত।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁরা কি আদৌ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন? এই প্রশ্ন তোলার কারণ হচ্ছে আমাদের সামাজিক অবস্থা। এই সমাজে একবার কারও গায়ে যখন কোনো তকমা এঁটে যায়, তা মুছে ফেলা খুবই কঠিন। সবাই তার সেই পরিচয়টাই মনে রাখে। যেমন কোনো নারী যখন ধর্ষণের শিকার হন, তখন তাঁর ধর্ষণের শিকার পরিচয়টাই বড় হয়ে ওঠে। সমাজ ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয় না। নিজ পরিবারেও তিনি নিগ্রহের শিকার হন। তাঁর সঙ্গে করা আচরণগুলো স্বাভাবিক থাকে না। প্রতি পদে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তুমি ধর্ষণের শিকার। তোমার শরীর অপবিত্র হয়ে গেছে। স্কুল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। যেমন বহিষ্কার করা হয়েছিল সিলেটের বাহুবল উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে। গত ডিসেম্বরে এ ঘটনা ঘটে। অতএব, চাইলেও স্বাভাবিক জীবনে আর ফেরা হয়ে ওঠে না ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর।আমাদের সমাজে কোনো তালাকপ্রাপ্ত নারীকে মেনে নেওয়া হয় না। তালাকের জন্য নারীটিকেই দায়ী করা হয়। কোনো দোষ না থাকলে কি আর স্বামী তালাক দেন? ভ্রষ্টা উপাধি জোটে তাঁর। আর কোনো মেয়ে যদি স্বামীকে তালাক দেন, তাতে তো আরও নয়। তিনি তো বিরাট ভ্রষ্টা।আমাদের সমাজে জেলফেরত কোনো নারীকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া হয় না। অনেকেরই ঠাঁই মেলে না পরিবারে। ঠাঁই মিললেও আগের সেই স্বাভাবিক জীবন আর তিনি ফিরে পান না। কেমন চোখে যেন তাঁকে দেখা হয়। সবাই তাঁকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করে। আর উত্ত্যক্তের শিকার মেয়েটিকেও দেখা হয় ‘বাজে মেয়ে’ হিসেবে। ‘বাজে মেয়ে’ বলেই তো তাঁকে ছেলেরা উত্ত্যক্ত করে। যেমনটি ‘বাজে’ ছিলেন নারায়ণগঞ্জের চারুকলার ছাত্রী সিমি। পাড়ার বখাটে যুবকেরা তাঁকে খারাপ মেয়ে উপাধি দিয়েছিল। তাঁর বিচার করতে চেয়েছিল। তাই তো সিমি আত্মহননের পথ বেছে নেন।এ-ই যখন সমাজের চেহারা, তখন ওই দুই নারী জঙ্গি আদৌ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন কি না, সে সংশয় থেকেই যায়। খুব সহজ হবে না তাঁদের ফেরাটা। জঙ্গি তকমা তো তাঁদের পাওয়া হয়ে গেছে। এই জীবনে এ তকমা কি মোছা সম্ভব হবে? কারণ, সমাজ তো তাঁদের প্রতি পদে মনে করিয়ে দেবে, তোমরা একদিন জঙ্গি ছিলে।নারীদের তুলনায় পুরুষদের পক্ষে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনেক সহজ। নিজ এলাকায় পুনর্বাসিত হতে না পারলেও অন্য এলাকায় গিয়ে তাঁরা কাজ খুঁজে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারেন। কিন্তু নারীদের জন্য এটা একটি কঠিন কাজ। সমাজ বা পরিবার মেনে না নিলে তাঁরা কঠিন বিপদে পড়েন। কোথাও যাওয়ার জায়গা না পেয়ে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে পাল্টাতে হবে। রাষ্ট্রকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের নারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সরকার করতে পারে। তাঁরা যাতে আত্মনির্ভরশীল হন, সে জন্য তাঁদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। নিগ্রহ বা নির্যাতনের শিকার নারী যাতে ‘স্বাভাবিক’ জীবনে ফিরতে পারেন, সেই সুযোগ যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি যে নারীরা পরিবেশ বা পরিস্থিতির কারণে নানা অপরাধ বা শিলা ও তৃষা মণির মতো জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন, তাঁরাও যেন আইনি প্রক্রিয়া, বিচার বা শাস্তি শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। নারী বা পুরুষ সবার জন্যই ‘স্বাভাবিক’ জীবনে ফেরার সুযোগ সৃষ্টির দায়িত্ব আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজের।রোকেয়া রহমান: সাংবাদিক। | 280,276 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২০:০৬ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২০:৪৫ | -1 | 0 | গণশৌচাগারের দাবিতে রাস্তায় ভিনদেশি শিক্ষার্থীরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/781393 | চট্টগ্রাম নগরের পথচারী ও ভাসমান মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন গণশৌচাগারের দাবিতে রাস্তায় নামলেন ভিনদেশি শিক্ষার্থীরা।আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে বাংলা-ইংরেজিতে স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড ও লিফলেট হাতে নিয়ে নগরের রাস্তায় প্রায় দুই ঘণ্টা প্রচারণা চালান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের কয়েকজন বিদেশি শিক্ষার্থী।বিকেলে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মোড়ে এ রকম ১১ জন ভিনদেশি শিক্ষার্থীর দেখা পাওয়া গেছে। তাঁদের হাতে ‘চট্টগ্রাম শহরে পর্যাপ্ত সংখ্যক গণশৌচাগার চাই’; ‘মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক পাবলিক টয়লেট’; ‘পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেট আমাদের অধিকার’; ‘নো বডি ওয়ান্টস টু এন্টার’ এ রকম স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। তাঁদের দেখে অনেকেই কৌতূহল নিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন, মুঠোফোনে ছবিও তুলছিলেন। শিক্ষার্থীরাও হাসিমুখে পথচারীদের হাতে লিফলেট তুলে দিচ্ছিলেন। দোভাষীর মাধ্যমে তাঁরা গণশৌচাগারের প্রয়োজনীয়তা ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে বোঝাচ্ছিলেন।বাংলা না জানা থাকার কারণে এই বিদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন নগরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান আবদুল্লাহ। তিনি জানান, পথচারী বিশেষ করে কয়েকজন রিকশাচালক ও ভাসমান মানুষকে গণশৌচাগারের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। নগরে প্রয়োজনের তুলনায় গণশৌচাগারের সংখ্যা খুব কম। যেগুলো আছে সেগুলোও খুব অপরিচ্ছন্ন। অনেক ভাসমান মানুষ এর ব্যবহার সম্পর্কেও জানেন না। এ ছাড়া মেয়েদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থাও নেই। গণশৌচাগারের অপ্রতুলতা ও সমস্যার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ এ প্রচারণার অংশ।প্রচারণায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে তাঁরা বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত নগরে গণশৌচাগারের ব্যবহার ও পরিচ্ছন্নতা বাড়ানোর প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। নগরের এম এম আলী রোড থেকে স্টেডিয়াম মোড় পর্যন্ত এ প্রচারণা চালানো হয়।ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশে পড়তে আসা ভি উইং নামের এক শিক্ষার্থী জানান, জনস্বাস্থ্যের জন্য পরিচ্ছন্ন শৌচাগার খুব প্রয়োজন। কিন্তু এখানে সেটির অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এ ধরনের প্রচারণা তাঁরা নিয়মিত চালাতে চান। | 205,168 |
মোশতাক আহমেদ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০২ | ০৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০৬ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | আবাসনসংকট প্রকট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1055181 | কলেজটি মেয়েদের। মোট ছাত্রী ৮ হাজার ৬০০। তাঁদের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি ছাত্রী ঢাকার বাইরে থেকে আসা। কিন্তু থাকার জন্য আছে মাত্র ৪০০ আসনের দুটি ছাত্রীনিবাস। তা–ও কেবল স্নাতক পর্যন্ত থাকা যায়। স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রীদের জন্য আবাসনের সুবিধা নেই।এটি রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের খণ্ডিত চিত্র। আবাসনসংকট ছাড়াও পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকা, উচ্চমাধ্যমিকে খারাপ ফল হওয়াসহ আছে আরও নানা সমস্যা। তবে বেশির ভাগ সরকারি কলেজে স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকলেও এখানে তা আছে। সম্প্রতি কলেজে গিয়ে শিক্ষক, ছাত্রী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।১৯৪০ সালে এই কলেজটি ইডেন স্কুল ও কলেজ নামে স্থাপিত হয়। একাধিকবার নাম পরিবর্তন হয়ে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম বদরুন্নেসার নামে কলেজটি হয়। কলেজটির অনেক ছাত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী।২ দশমিক ১৫ একর জায়গায় অবস্থিত এই কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ছাড়াও ২০টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ১৭টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো হয়। এ ছাড়া আছে স্নাতক (পাস কোর্স) ও প্রিলিমিনারি কোর্স। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ও পুরোনো নামে দুটি ছাত্রীনিবাসে প্রায় ৪০০ আসন থাকলেও থাকেন প্রায় ৮০০ ছাত্রী। প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক সাবিনা ইয়াসমিন ছাত্রীনিবাসের ছবি তুলতে হলে গিয়ে দেখেছেন, প্রায় প্রতিটি কক্ষেই একজনের বিছানায় দুজন করে থাকেন।নতুন ছাত্রীনিবাসে থাকেন স্নাতকের ছাত্রী বৈশাখী বণিক। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ছাত্রী থাকায় কয়েক ধরনের সমস্যা হয়। গোসল ও বাথরুমের জন্য লাইন ধরতে হয়। প্রায় সময়ই পানির সমস্যা তো আছেই। খাবারের মানও খুব ভালো না। এ ছাড়া চারজনের কক্ষে আটজন থাকায় পড়তেও সমস্যা হয়।মারুফা আক্তার নামে উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রী বলে, তারা নতুন ছাত্রীনিবাসের পাঁচতলায় চারজনের কক্ষে থাকে আটজন।সম্প্রতি স্নাতক শেষ করা মনোবিজ্ঞানের এক ছাত্রী বললেন, তিনি স্নাতক পর্যন্ত ছাত্রীনিবাসে থাকলেও এখন থাকেন আজিমপুরে। কারণ স্নাতকের পর আর ছাত্রীনিবাসে থাকতে দেওয়া হয় না।কয়েকজন শিক্ষক বলেন, থাকার জন্য প্রচুর আবেদন জমা পড়লেও সবাইকে থাকতে দেওয়া সম্ভব হয় না।গত ২৮ ডিসেম্বর কলেজের বিষয়ে কথা হয় অধ্যক্ষ মাহবুবা রহমানের সঙ্গে। মেয়েদের আবাসিক সমস্যাই এখন বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমিত আসনের ছাত্রীনিবাসে এত ছাত্রী থাকায় কক্ষগুলোতে ঠিকমতো পড়ার পরিবেশ থাকে না। অনেকে বারান্দায় বসেও পড়ে। তবে এই সমস্যা নিরসনের জন্য কয়েক দিন আগে তিনি বেসরকারি সহায়তায় ছাত্রীনিবাসের ছাদে একটি পাঠকক্ষ তৈরি করেছেন।জানা গেছে, ছাত্রীনিবাস হলেও তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষকের জন্য থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। অধ্যক্ষের জন্যও বাসভবন নেই। কার্যত সব আমলে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেত্রীরা হল নিয়ন্ত্রণ করেন।আবাসনসংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে যাতায়াতের সমস্যা। কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, অনেক ছাত্রী জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে যাতায়াত কনে। কিন্তু ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য দুটি বাস থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে অনেক কষ্টে তাঁদের যাতায়াত করতে হয়।প্রভাষকের ১৮ পদ শূন্য: কলেজে শিক্ষকের পদ আছে ১২৪টি। এর মধ্যে প্রভাষকের ৫২টি পদের মধ্যে ১৮টি শূন্য। অবশ্য সংযুক্তি মিলিয়ে মোট শিক্ষক আছেন ১৩৪ জন (প্রদর্শক বাদে)। এই হিসাবে ছাত্রী ও শিক্ষকের অনুপাত ১: ৬৪। শিক্ষকেরা বলছেন, দিন দিন ছাত্রী বাড়ছে। এ জন্য দ্রুত শিক্ষকের পদ বাড়ানো দরকার। ১৯৮৩ সালে করা প্রশাসনিক সংস্কার-সংক্রান্ত এনাম কমিটির সুপারিশ ছিল স্নাতকের (সম্মান) বিষয়গুলোর প্রতিটির জন্য কমপক্ষে ৮ জন ও স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে প্রতিটির জন্য ১২ জন শিক্ষক থাকতে হবে। কিন্তু এই কলেজে বাংলা, ইংরেজি ও অর্থনীতি ছাড়া কোনো বিভাগেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। দর্শন, ভূগোল, ইতিহাস, ইসলামের শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপকের কোনো পদ নেই। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ে নিজস্ব কোনো শিক্ষক নেই।উচ্চমাধ্যমিকে খারাপ ফল: ২০১৫ সালে এইচএসসিতে ১ হাজার ২১৪ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিলেও জিপিএ-৫ পান মাত্র ৯ জন। ওই বছর অনুত্তীর্ণ হয় ২৪৫ জন। চলতি বছর জিপিএ-৫ বেড়ে ৬৭ জন হলেও ৬২ জনই বিজ্ঞানের। ৫ জন ব্যবসায় শিক্ষা শাখার। মানবিকে একজনও জিপিএ-৫ পাননি। এ বছর ১৯৪ জন পাস করতে পারেনি। অধ্যক্ষ বলেন, অন্যান্য নামী কলেজে এসএসসিতে জিপিএ-৫-এর নিচে ভর্তি করা হয় না। কিন্তু এই কলেজে কম গ্রেড পাওয়া ছাত্রীদের ভর্তি করতে হয়। তিনি যোগ দেওয়ার পর উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রীদের দেখভালের জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করে কাজ করছেন।উপস্থিতি কম: কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে উপস্থিতি বেশি হলেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে কম। পরীক্ষার জন্য ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক থাকলেও সেটি মানা হয় না। স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া সুলতানা বলেন, তাঁদের ক্লাসে গড়ে উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। তবে শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে চান।অবশ্য এত সমস্যার মধ্যে এই কলেজে স্বাস্থ্য ও পরিষেবা কেন্দ্র আছে। কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধা কর্নারও আছে।অধ্যক্ষ মাহবুবা রহমান বলেন, জায়গার অভাবে আবাসিক হলসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য কলেজের উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থিত সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা বরাদ্দ চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে অবকাঠামোগত সমস্যার অনেকটাই দূর করা সম্ভব হতো। | 281,248 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৫ জুলাই ২০১৩, ০২:৩৭ | ০৫ জুলাই ২০১৩, ০২:৩৮ | খেলা | 0 | পথ ভুলে! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/19354 | বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক দিয়ে একে একে ঢুকলেন বিপ্লব, চয়ন, জাহিদরা। স্টেডিয়ামে অনুশীলনরত অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ফুটবলাররা হকি দলকে ঢুকতে দেখে বেশ বিস্মিত। পাশেই মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম। একজন তো বলেই বসল, ‘পথ ভুলে কি এখানে ঢুকে পড়েছেন আপনারা?’ ভুল ভাঙালেন জাতীয় হকি দলের নতুন কোচ নাভিদ আলম, ‘খেলোয়াড়দের সহ্যক্ষমতার পরীক্ষা নিতেই এখানে আসা।’ একটু পর চার দলে ভাগ হয়ে অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ১০ চক্কর দিলেন হকি খেলোয়াড়েরা। পাশে দাঁড়িয়ে নাভিদ আলম জোগাতে থাকলেন উ ৎসাহ, ‘কিপ রিদম বয়েজ!’ কিন্তু ১০ চক্কর শেষে দু-একজন বাদে প্রায় সবাইকে দেখাল বিধ্বস্ত। | 357 |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫৯ | ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ০২:০০ | বিশাল বাংলা | 0 | কর্তৃপক্ষের ভুল ‘ই’ ইউনিটের সংশোধিত ফল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/692716 | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ই’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) ফল প্রকাশের পাঁচ দিন পর সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় এই ফল প্রকাশ করা হয়। আগের ফল প্রকাশ করা হয় ১৭ নভেম্বর।নতুন ফলাফল অনুযায়ী, জোড় রোল নম্বরধারী নতুন ১৮৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আর সমানসংখ্যক শিক্ষার্থী বাদ পড়ছেন আগের প্রকাশিত তালিকা থেকে।যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফলের পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা। তিনি বলেন, ওএমআর মেশিনে উত্তরপত্র স্ক্যানিং করার পর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি-ইচ্ছুকদের তালিকা দেওয়া হয়। ফল কম্পিউটারে গড় করার সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক্সেল শিটে ১৮৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলাফল পুনরায় যাচাই করার সময় এই ত্রুটি ধরা পড়ে। পুনরায় ফল প্রকাশ করায় যোগ্য শিক্ষার্থীরাই ভর্তির সুযোগ পাবেন। | 177,248 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর | entertainment | বিনোদন | ২৯ নভেম্বর ২০১৫, ০০:২২ | ২৯ নভেম্বর ২০১৫, ০০:২৯ | বিনোদন,সংগীত | 0 | যন্ত্রসংগীতের সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ শ্রোতা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/697309 | ধীরে ধীরে মঞ্চের পর্দা সরছে। সেই সঙ্গে নানা বাদ্যযন্ত্রে মধুর তাল। শিল্পীরা একমনে যন্ত্র বাজিয়ে চলছেন। মঞ্চের আলো-আঁধারিতে পুরো হলের পরিবেশ হয়ে ওঠে নিস্তব্ধ। আট মিনিট একটানা যন্ত্রসংগীতের সুরের মূর্ছনায় দর্শক–শ্রোতা শুরুতেই যেন মুগ্ধ হয়ে ওঠেন।এভাবেই গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রংপুর টাউন হল মঞ্চে দুই দিনের বিভাগীয় উচ্চাঙ্গসংগীত উত্সব শুরু হয়, যা শুক্রবার শেষ হয়েছে। তারানা উচ্চাঙ্গসংগীত পরিষদের উদ্যোগে এ উত্সবের আয়োজন করা হয়।উৎসবে খেয়াল পরিবেশন করেন দিনাজপুর থেকে আসা ওস্তাদ সায়মন আলী এবং রাজশাহীর নাজমা নবী উচ্চাঙ্গসংগীত পরিবেশন করেন। বগুড়ার স্বপন কুমার কুণ্ডু সেতার বাজিয়ে শোনান। এ ছাড়া রংপুরের শিল্পী রেদোয়ান তাবাসসুম সেতার ও যুগল তবলায় লহড়ী বাজিয়ে শোনান উজ্জ্বল কুমার রায় ও বিপ্লব চন্দ্র রায়। বেহালা বাজিয়েছেন শহীদুজ্জামান ও ফাহমিদা কাওসার। সেতারে ছিলেন আহসান হাবিব হারামাইন। খেয়াল পরিবেশন করেন ইসমত জাহান, সামসুজ্জোহা, মইনুল হাসান, ঐশি সরকার, জিয়াউল হক। সেই সঙ্গে সন্তুর বাজিয়ে শোনান তমাল কান্তি লাহিড়ী। এসরাজে ছিলেন নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ।অনুষ্ঠান শুনতে আসা দর্শক অনুপম ঘোষ বলেন, ‘এত অনুষ্ঠান, এত উত্সবের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এভাবে উচ্চাঙ্গসংগীতের উত্সব সাধারণত দেখা যায় না।’আয়োজক সংগঠনের উদ্যোক্তা আহসান হাবিব বলেন, ‘শুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে আমরা ছোট পরিসরে হলেও উচ্চাঙ্গসংগীত উত্সবের আয়োজন করছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’এ উত্সবের উদ্বোধন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরিফা সালোয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান। | 178,900 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৬ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৬ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),দূর্ঘটনা | 0 | গাড়ির ধাক্কায় সাংবাদিক আহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1080209 | পেছন থেকে আসা গাড়ির ধাক্কায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হয়েছেন ডেইলি অবজারভার পত্রিকার প্রতিবেদক মামুনুর রশীদ। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার আন্ডারপাস-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহত মামুনুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ডান হাতের হাড় কাঁধের জোড়া থেকে খুলে গেছে। এ ছাড়া বাঁ হাতেও আঘাত লেগেছে। গাড়ির ধাক্কায় তিনি পড়ে যাওয়ার সময় তাঁর মোটরসাইকেলটি রাস্তার ওপর একটি শিশুকে আঘাত করলে সেও আঘাত পায় বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। তবে শিশুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।পুলিশের তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলে, মামুনের মোটরসাইকেলটি পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে। ধাক্কা দেওয়া গাড়িটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজারের দিকে যাওয়ার সময় পেছন থেকে কালো রঙের একটি গাড়ি তাঁকে অনুসরণ করছিল বলে তাঁর মনে হয়েছে। কারওয়ান বাজার আন্ডারপাসের পাশে এসে গাড়িটি তাঁকে হালকা ধাক্কা দেয়। | 293,112 |
প্রতিনিধি, নাটোর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ এপ্রিল ২০১৮, ২১:৪৩ | ১৫ এপ্রিল ২০১৮, ২১:৪৫ | নাটোর,সিংড়া,অপরাধ | null | চিকিৎসককে মারধর করলেন রোগীর ভাই! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1470586 | নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাইফুল হক নামের এক চিকিৎসা কর্মকর্তাকে (এমও) রোগীর সঙ্গে আসা এক স্বজন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে চিকিৎসক সাইফুল হক জরুরি বিভাগে নিজের কক্ষে বসে রোগী দেখছিলেন। এ সময় সিংড়া শহরের পূর্ব দমদমা মহল্লার আতাউর রহমান (৩৫) নামের এক রোগী আসেন। একটি মারামারির ঘটনায় আহত হয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রোগীর ভিড় থাকায় আতাউরের সঙ্গে আসা তাঁর ভাই আহাদুর রহমানকে ওই কক্ষ থেকে বাইরে যেতে বলা হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আহাদুর চিকিৎসক সাইফুলকে মারধর করেন।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা আমিনুল হক রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা কম, তারপরও যথেষ্টসংখ্যক রোগীর সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আমরা মর্মাহত। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’সাইফুল হক বলেন, ‘আতাউর রহমানকে চিকিৎসা দেওয়া শেষে ওষুধ আনার কথা বলে অন্য রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ তাঁর ভাইয়ের নেতৃত্বে ছয় থেকে সাতজন এসে আমাকে মারধর করে।’সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 360,979 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ এপ্রিল ২০১৬, ০২:২৪ | ১৪ এপ্রিল ২০১৬, ০২:২৪ | আইন ও বিচার | 0 | মান্নানের মেয়র পদে যোগ দিতে বাধা নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/829972 | গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করে সরকারের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার হাইকোর্টের দেওয়া এই স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগও বহাল রেখেছেন।হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে গাজীপুরের প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমানের করা আবেদনের বিষয়ে গতকাল কোনো আদেশ দেননি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এর ফলে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকল। এম এ মান্নানের এখন মেয়র পদে যোগ দিতে কোনো বাধা নেই।আদালতে এম এ মান্নানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আবু হানিফ। প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার একটি মামলায় মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হলে এবং আদালত তা গ্রহণ করলে গত বছরের ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। স্থানীয় সরকার বিভাগের ওই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এই রিট আবেদনটি করেন এম এ মান্নান। ১১ এপ্রিল মান্নানকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মান্নানকে তাঁর রাজধানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। | 220,167 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪০ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪৩ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর | 0 | জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে নাকাল নগরবাসী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/619726 | জোয়ারের পানির কারণে এমনিতেই কয়েক দিন ধরে দুর্ভোগের মধ্যে ছিল চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এর মধ্যে বৃষ্টি দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। টানা বৃষ্টিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে গত রোববার থেকে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৪৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এ নিয়ে চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে অন্তত ১৪ দিন জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে নগরবাসী।গতকাল সকালে বৃষ্টিতে নগরের বাকলিয়া, পাথরঘাটা ও চাক্তাইয়ের কিছু অংশ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, কাপাসগোলা, শুলকবহর, হালিশহর অ্যাকসেস সড়ক, চকবাজার ও সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিও ওঠে অনেক জায়গায়। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে নগরে যানবাহনসংকট দেখা দেয়। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার ভাড়া বাড়িয়ে দেন চালকেরা।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃষ্টির সময় নগরের জিইসি মোড় থেকে আগ্রাবাদ যেতে তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া দিতে হয়েছে ১০০ টাকা। স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা।বৃষ্টির পানিতে সকালে আগ্রাবাদ অ্যাকসেস সড়ক ও আশপাশের এলাকা তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে পড়ে আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালেও। এতে রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন মো. জাফর বলেন, ‘আমি হালিশহর থেকে রোগী দেখতে এসে বিপদে পড়েছি। সকালে রিকশা করে হাসপাতালের কাছাকাছি এসে দেখি, চারদিকে পানি থইথই করছে। পরে কোনোরকমে হাসপাতালে পৌঁছাই।’একইভাবে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড সড়ক গতকাল সকালে পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পাথরঘাটা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, তিন দিন ধরে এখানে পানি উঠছে। জোয়ার ও বৃষ্টির কারণে এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।এ ছাড়া গতকাল চকবাজারের বিভিন্ন দোকানে পানি ঢুকে পড়ে। রফিক নামে এক দোকানি জানান, বৃষ্টি হলেই এখানে পানি ওঠে। এতে অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়।গতকাল দুপুর ১২টার পর বেশির ভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে যায়। তবে শুলকবহর, হালিশহরসহ কয়েকটি এলাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা ছিল। এদিকে বেলা তিনটার দিকে জোয়ারের পানিতে নগরের অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে যায়।বারবার জলাবদ্ধতা: চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রাম নগরে অন্তত ১৪ দিন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।এই মৌসুমে চট্টগ্রামে প্রথম জলাবদ্ধতা দেখা দেয় ১১ জুন। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার আগে গত ৬ এপ্রিল বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছিল নগরের বেশ কিছু এলাকা।২৫ জুলাই থেকে চট্টগ্রামে টানা তিন দিন বৃষ্টিপাত হয়। এই তিন দিন বারবার নগরের নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। ২৫ জুলাই ২৭৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ২৭ জুলাই বৃষ্টিপাত হয় ১৭৫ মিলিমিটার।৩০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত নগরে আবার জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সময় জোয়ারের পানি যোগ হয়ে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যায় ভোগ্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ।১৮ আগস্ট থেকে আবারও তিন দিন বৃষ্টির কবলে পড়ে চট্টগ্রাম। এই তিন দিনই নগরের কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা ছিল।৩ নম্বর সংকেত: পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানায়, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঢাকা, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও পাহাড়ধসের আশঙ্কা করা হয়েছে। | 165,211 |
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ আগস্ট ২০১৪, ০১:৩০ | ২৪ আগস্ট ২০১৪, ০১:৩১ | শেরপুর,রাজশাহী বিভাগ | 0 | সংযোগ সড়ক না হওয়ায় দুর্ভোগে ১৩ গ্রামের মানুষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/299362 | বগুড়ার শেরপুর উপজেলার উলিপুর-ঝাজর সড়কে খামারকান্দি ইউনিয়নের চেঙ্গামারী খালের ওপর সেতু উদ্বোধন হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শেরপুর ও পাশের ধুনট উপজেলার ১৩টি গ্রামের মানুষ।স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে এক কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৯৭ টাকা ব্যয়ে চেঙ্গামারী খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল স্থানীয় সাংসদ হাবিবর রহমান সেতুটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। সেতুর দুই পাশে মাটি ফেলে স্থানীয় লোকজনের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে কাদাপানি মাড়িয়ে স্থানীয় লোকজন চলাচল করছে।১৮ আগস্ট সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল সেতু থেকে প্রায় সাড়ে চার ফুট নিচে পুরোনো সড়ক। সেতুটির উদ্বোধনের সময় ফেলা মাটি কাদায় রূপ নিয়েছে। ওই কাদাপানি মাড়িয়ে প্রয়োজনীয় কাজে স্থানীয় লোকজনকে শেরপুর উপজেলা শহরে আসতে হয়।স্থানীয় অনেকে জানান, এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শেরপুর উপজেলার ঝাজর, বিলনথার, গজারিয়া, রবইতলী, হালদার পাড়া, ঝাজর উত্তর ও দক্ষিণ পাড়া গ্রাম এবং ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী, ষোলমারী, রাঙ্গামাটি, নলডিঙ্গী, হাঁসুখালী, হাঁসাপটল গ্রামের লোকজন চলাচল করে থাকে। কিন্তু সেতুর দুই পাশের দেড় কিলোমিটার রাস্তা পার হতে তাঁদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষিপণ্য শেরপুরের বাজারে তুলতে কৃষকদের বাড়তি অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হয়।ঝাজর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মোমিন বলেন, সেতুর উভয় পাশে নতুন করে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।ঝাজর বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সেতু নির্মাণ করার সময় আশা করেছিলাম, আমাদের কষ্ট দূর হবে। কিন্তু সেতুর পাশের সড়ক দিয়ে হেঁটেও চলাচল করা যায় না।’এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে উভয় পাশে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি ছিল না। সেতুটি উদ্বোধন করার সময় সেতুর উভয় পাশে মাটি ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বৃষ্টির কারণে উভয় পাশের সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতুর উভয় পাশে সড়ক নির্মাণের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পেলেই দ্রুত সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হবে। | 87,621 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জুলাই ২০১৪, ০১:১০ | ০৭ জুলাই ২০১৪, ০১:১১ | ভৈরব,কিশোরগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা | 0 | আর্জেন্টিনার পতাকা টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/260725 | প্রিয় দলের পতাকা টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে সবুজ মিয়া নামের এক কিশোর। সে বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নেওয়া আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। গতকাল রোববার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌর শহরের নয়াকান্দি বেপারীপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সবুজের (১৬) বাড়ি নয়াকান্দি বেপারীপাড়ায়।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে ওঠে। প্রিয় দলের এই সাফল্যের আনন্দে সবুজ গতকাল সকাল ১০টার দিকে পতাকা টানাতে বাড়ির কাছের একটি জামগাছে ওঠে। পতাকা লাগানো বাঁশ নিয়ে সে গাছে উঠছিল। একপর্যায়ে বাঁশটি গাছের কাছ দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে লাগে। এতে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরে কিশোরগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যরা এসে গাছ থেকে সবুজের লাশ নামায়।সবুজের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে খেলাপাগল। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা দলের ভক্ত। ্রিয় দল সেমিফাইনালে খেলবে ঠিকই, কিন্তু আমার ছেলে আর দেখবে না।’ | 75,646 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪০ | ১০ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪০ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | মেয়েকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/825292 | চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা পুরাতন বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে মা আয়েশা সিদ্দিকা (২৫) ও মেয়ে রাইসা সিদ্দিকার (সাড়ে ৫ বছর) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা আশা নামে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী আপেল উদ্দীনের স্ত্রী ও মেয়ে। আপেল উদ্দীনের বাড়ি শিবগঞ্জের রানীহাটি এলাকায়।গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোর্ত্তুজা জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে আয়েশা ও রাইসার মরদেহ উদ্ধার করে। রাইসার মরদেহ বিছানায় পড়ে ছিল। আয়েশা সিদ্দিকার মরদেহ পাওয়া যায় ঝুলন্ত অবস্থায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আয়েশা সিদ্দিকার স্বামী আপেল উদ্দীনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।ওসি জানান, আয়েশা সিদ্দিকার মাসহ আত্মীয়স্বজনেরা জানান, আয়েশা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁদের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। | 218,949 |
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি | international | আন্তর্জাতিক | ৩০ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫৬ | ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৩৫ | ভারত,প্রিয়াঙ্কা গান্ধী,বিজেপি,কংগ্রেস,রাহুল গান্ধী | 0 | প্রিয়াঙ্কার প্রচার, মায়াবতীর গোসসা | http://www.prothom-alo.com/international/article/1586157 | পরিচালক সাঈদ আখতার মির্জার সেই বিখ্যাত হিন্দি চলচ্চিত্রটির কথা নিশ্চয় মনে আছে। অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি, স্মিতা পাতিল, ওম পুরীর সেই মারমার কাটকাট চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ‘অ্যালবার্ট পিন্টো কো গুসসা কিউ আতা হ্যায়’। সব সময় রেগে থাকতেন মোটর মেকানিক অ্যালবার্ট পিন্টো (নাসিরুদ্দিন শাহ)। একদিন তাঁর বোধোদয় হলো, অর্বাচীন শ্রমিকেরা নয়, ধনী বুর্জোয়া মালিকেরাই যত নষ্টের গোড়া। সেই সিনেমার নাম ধার করে এই লেখার শিরোনাম দেওয়া যেতে পারে, মায়াবতী কো গুসসা কিউ আতা হ্যায় (মায়াবতী কেন রাগ করেন)।সত্যিই রেগে রয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। রেগে আছেন কংগ্রেসের ওপর। কিংবা আরও সহজ করে বলা যেতে পারে, কংগ্রেসের ভাই-বোনের জুটি রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ওপর। এই মুহূর্তে তাঁরাই বহেনজির চোখের বালি। কেননা, মায়াবতীর উপলব্ধি, এই জুটি আখেরে ক্ষতি করছে তাঁরই। বিজেপিকে থামাতে উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির জোটে কংগ্রেস যোগ দিক, মায়াবতী তা একেবারেই চাননি। না চাওয়ার দুটি কারণ—প্রথমটি, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে তাঁর দলকে কংগ্রেসের কল্কে না দেওয়া। তাঁর দাবিমতো আসন দিতে ওই দুই রাজ্যে কংগ্রেস রাজি হয়নি। ক্ষুব্ধ মায়াবতী উত্তর প্রদেশে তার শোধ তোলেন কংগ্রেসকে জোটে না নিয়ে। দলিত নেত্রীর যুক্তি ছিল, কংগ্রেসের উচ্চবর্ণের ভোট দলিত বা অনগ্রসরদের দিকে কখনো যায় না। চলে যায় বিজেপিতে। অতএব কংগ্রেসকে জোটে নিলে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি। যুক্তি যে অসাড়, তা নয়। কংগ্রেসের উপলব্ধিও তা-ই। কংগ্রেস তাই একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত মায়াবতীর গাত্রদাহ আরও বেশি বাড়িয়ে তোলে। আজ তাই তিনি উঠতে-বসতে গাল পাড়ছেন কংগ্রেসকে।এই ক্ষোভের একটা বড় কারণ অবশ্যই প্রিয়াঙ্কা। উত্তর প্রদেশের যে অংশের ভার প্রিয়াঙ্কার হাতে, সেই পূর্বাঞ্চল মায়াবতীর ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। প্রিয়াঙ্কা সেখানে বিশেষ নজর দিয়েছেন দলিত জনগণের দিকে, যাঁরা এতগুলো বছর ধরে মায়াবতীকেই তাঁদের ত্রাতা বলে মেনে এসেছেন। মায়াবতীর নিজের জাত ‘জাটভ’ ছাড়া মাল্লা, নিষাদ, কৌরির মতো ছোট ছোট তপসিলি জাতির মানুষজনের মাঝে চলে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা, অবলীলায় মিশে যাচ্ছেন, বুনে দিতে চাইছেন সোনালি ভবিষ্যতের স্বপ্ন। প্রকাশ্যেই জানাচ্ছেন, এই বছরের লোকসভার ভোট নয়, তাঁর নজরে রয়েছে ২০২২ সালের রাজ্য বিধানসভার ভোট। প্রমাদ গোনারই কথা মায়াবতীর। তাই ৭২ হাজার টাকার ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার কংগ্রেসি প্রকল্প ‘ন্যায়’-এর ঘোষণাকে তিনি আজগুবি খোয়াব বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। বিজেপিকে সরানোর পাশাপাশি তিনি চাইছেন শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস যেন উত্তর প্রদেশে পায়ের তলায় শক্ত জমির সন্ধান না পায়।সেই জন্যই রাহুল যখন রাজ্যের ৮০টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেন, মায়াবতী ঠাট্টা করে বলেছিলেন, কংগ্রেসকে অণুবীক্ষণযন্ত্রের খোঁজ করতে হবে। মায়াবতীর গোসসা আরও বাড়ে ‘ভীম সেনা’র প্রধান চন্দ্রশেখর ওরফে রাবণের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা দেখা করায়। দলিত চন্দ্রশেখরকে মায়াবতী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ধরে নিয়েছেন। ২৮ বছরের এই তরুণ দলিত মন সেইভাবে আন্দোলিত করেছেন ৩০ বছর আগে কাঁসিরামের নেতৃত্বে মায়াবতী যা করতে পেরেছিলেন। রাবণ কাছে আসতে চেয়েছিলেন মায়াবতীর। ভীত ও সন্ত্রস্ত মায়াবতী তাঁকে জায়গা দেননি ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায়। বরং চন্দ্রশেখরকে বিজেপির দালাল বলে অভিহিত করেছেন। সেই তরুণের সঙ্গে দেখা করে প্রিয়াঙ্কা বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে গেলে দলিত মন জিততে হবে। জোটের দরুন যে আসনগুলো মায়াবতীর হাত থেকে বেরিয়ে গেছে, সেখানে তাঁর অনুগামীদের বেছে বেছে কংগ্রেসের প্রার্থী করেছেন রাহুল। উত্তর প্রদেশে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার কৌশল দ্বিমুখী—ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়-বৈশ্যর মতো উচ্চবর্ণের ঐতিহ্যগত ভোট টেনে বিজেপির পথে কাঁটা বিছানো। পাশাপাশি দলিত মন জিতে ভবিষ্যতের পথ প্রস্তুত করা। দলে প্রিয়াঙ্কার অন্তর্ভুক্তির পর রাহুল বলেছিলেন, ওয়ান ডে ক্রিকেটের জন্য প্রিয়াঙ্কাকে দলে আনা হয়নি। নজরে তাঁর টেস্ট ম্যাচ। প্রিয়াঙ্কা লম্বা রেসের ঘোড়া। মায়াবতীর কপালে তাই চিন্তার ভাঁজ। গোসসার কারণও সহজবোধ্য। | 395,806 |
বদর উদ্দিন, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৪:৫২ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৪:৫৬ | অপরাধ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া | null | মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দেখে যেতে চান বাবা-মা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/738802 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার রফিজ উদ্দিনের মেয়ে আইনজীবী নাসরিন আক্তার (২৭) হত্যা মামলাটি দীর্ঘ সাত বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। উল্টো নাসরিনের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর আগে তাই একমাত্র মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দেখে যাওয়ার আকুতি জানালেন বৃদ্ধ বাবা-মা।নাসরিন আক্তার ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় খুন হন। ঘটনার পরদিন নাসরিনের ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঢাকা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাসরিন আক্তার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি বাসায় সাবলেট থাকতেন। ফ্ল্যাটটিতে বাবা-মা, স্ত্রী ও বোনদের নিয়ে থাকতেন আমিন মিয়া (৪০)। আমিন একদিন নাসরিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর সকাল আটটার দিকে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নাসরিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আমিন। নাসরিনের ছিন্ন মাথা নিয়ে রাস্তায় উল্লাস করতে থাকেন আমিন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আমিন। ঘটনার দুই মাস পর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম পাঁচ আসামিকে বাদ দিয়ে শুধু আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পুলিশ বাড়ির মালিক, আশপাশের ভাড়াটিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শী এক রিকশাচালককে সাক্ষী করেন।বাদী সালাহ উদ্দিনের অভিযোগ, আসামি আমিন বর্তমানে জেলহাজতে থাকলেও তাঁর পক্ষের লোকজনের ভয়ভীতির কারণে সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাননি। ইতিমধ্যে কয়েকজন সাক্ষী এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি মামলা প্রত্যাহারে নাসরিনের বাবাকে ‘প্রাইভেট নাম্বার’ লেখা অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন আসামি পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে তাঁর বাবা রফিজ উদ্দিন গত ১৪ নভেম্বর সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে তিনি জানান।নাসরিনের বাবা রফিজ উদ্দিন (৬৮ ) ও মা রেনুকা পারভীন (৫৫) বলেন, মৃত্যুর আগে একমাত্র মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দেখে যেতে চান তাঁরা। এ ব্যাপারে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। | 191,809 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫৯ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০০ | রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | উত্ত্যক্তের ঘটনায় সংঘর্ষ, কলেজে পাঠদান বন্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/321811 | রাজশাহীর চারঘাটের এক কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ সাতটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ আগামী শনিবার পর্যন্ত কলেজে পাঠদান স্থগিত ঘোষণা করেছে। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চারঘাটের সরদহ ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে গতকাল একই শ্রেণির একজন ছাত্র কথা বলার জন্য ডাকে। মেয়েটি কথা শুনতে না চাইলেও ছেলেটি বারবার কথা বলার চেষ্টা করে। এতে মেয়েটি বিরক্ত হয়ে বিষয়টি তার অভিভাবকদের জানায়। মেয়েটির বাড়ি উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে এবং ছেলেটির বাড়ি ঝিকরা গ্রামে। খবর পেয়ে মেয়ের পক্ষের লোকজন ছেলের কাছে কৈফিয়ত চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। দুপুরে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে কলেজে ঢুকে পড়ে। দুই গ্রামের লোকজনের উত্তেজনার খবর পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন থানায় খবর দেন। সংঘর্ষের সময় পুলিশ সাতটি গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। | 94,071 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জুলাই ২০১৭, ১৮:১২ | ২৫ জুলাই ২০১৭, ২০:০৫ | আইন ও বিচার | 0 | দুর্নীতির ৬ মামলায় মৃধার জামিন নামঞ্জুর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1265111 | রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (পরে বরখাস্ত) ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে করা নিয়োগে দুর্নীতির ছয় মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।২০১২ সালের ৯ এপ্রিল রাতে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর (প্রয়াত) বাসায় যাওয়ার পথে পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে টাকার বস্তাসহ একটি মাইক্রোবাস ঢুকে পড়ে। গাড়িতে মৃধা ছাড়া আরও ছিলেন রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক এবং তৎকালীন রেলমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ওমর ফারুক তালুকদার ও চালক আজম খান। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।মৃধা পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক থাকার সময় রেলের ১৩টি শ্রেণিতে (ক্যাটাগরি) ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলার আসামি হওয়ার পর ২০১২ সাল থেকে দুই বছর পলাতক ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করায় সেদিন থেকে কারাগারে রয়েছেন মৃধা।দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সহকারী লোকো মাস্টার, গুডস সহকারী, কোর্ট ইন্সপেক্টর, টুলকিপার, ট্রেন নম্বর টেকার ও টিকিট ইস্যুকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির ছয় মামলায় মৃধার জামিনের আবেদন করা হয়। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে বলা হয়, আসামিরা পাস করা প্রার্থীকে ফেল দেখিয়ে ফেল করা প্রার্থীকে পাস দেখান। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।আসামিপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, জামিনে গেলে মৃধা পালিয়ে যাবেন না। ২০ জুলাই পাঁচ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মৃধার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।দুদকের আইনজীবী আরও বলেন, ছয় মামলায় মৃধার সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া ও সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরীর জামিনের আবেদনও করা হয়। আদালত এর মধে৵ টিকিট ইস্যুকার, ট্রেন নম্বর টেকার ও টুলকিপার পদে নিয়োগের তিন মামলায় ওই দুই আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি তিনটি মামলায় নামঞ্জুর করেন।দুদক সূত্র জানায়, রেলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মৃধাসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোট ১৩টি মামলা করেছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো দুটি মামলায় চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল রায় দেন আদালত। রেলের সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির দুই মামলায় মৃধা, কিবরিয়া ও হাফিজুরকে চার বছর করে (প্রতিটিতে দুই বছর) কারাদণ্ড দেন আদালত। নিয়োগে দুর্নীতির বাকি ১১টি মামলার মধ্যে চারটি মামলার বিচার চলছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। পাঁচটি মামলায় দুদক অভিযোগপত্র দিয়েছে আদালতে। বাকি দুটি মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। এর আগে গত বছরের ৩ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের অন্য একটি মামলায় ঢাকার একটি আদালতে তিন বছরের সাজা হয় মৃধার। | 328,469 |
সুমন্ত চক্রবর্ত্তী | education | শিক্ষা | ২৫ আগস্ট ২০১৩, ০০:২৪ | ২৫ আগস্ট ২০১৩, ০০:২৯ | স্বপ্ন নিয়ে,মেধাবী | null | জোহানার জগৎ | http://www.prothom-alo.com/education/article/41773 | নাট্যকর্মী ও আবৃত্তিকার— একের ভেতর দুই আর কাকে বলে! ছোটবেলা থেকে নাটকের প্রতি ছিল ভীষণ ভালোবাসা। এই ভালোবাসার কারণে স্কুলে পড়া অবস্থায় সহপাঠীদের জন্য নাটক লিখতেন তিনি। তারপর শুরু হতো অভিনয়ের পালা। বলছিলাম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জোহানা শারমীনের কথা।জোহানা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে একজন ভালো প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আর স্বপ্ন ছিল একজন ভালো অভিনেত্রী হব। এর জন্য স্কুল ও কলেজে আমার বন্ধুদের নিয়ে নাটক লিখতাম, সঙ্গে সঙ্গে অভিনয়ও করতাম।’জোহানা শারমীন জানান, ঝিনাইদহ জেলার দুর্গাপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। চার ভাইবোনের মধ্যে জোহানা তৃতীয়। অবশ্য বড় হয়েছেন ঢাকায়। বাবা গোলাম রসুল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, মা বেগম খায়রুন নাহার গৃহিণী। ঢাকার হলিক্রস স্কুল ও কলেজের পাঠ শেষ করে এখন পড়ছেন কুয়েটে।খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে কুয়েট থিয়েটার ও ক্যাম্পাসের আবৃত্তি সংগঠন ‘অ’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করে থাকেন তিনি। আর কুয়েট থিয়েটার কর্তৃক বছরের বিভিন্ন জাতীয় উৎসবগুলোতে প্রদর্শিত নাটকে অভিনয় করে ক্যাম্পাসে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন জোহানা। আবৃত্তি ও নাটকের মাধ্যমে তিনি ক্যাম্পাসে এখন সবার কাছে পরিচিত।লেখাপড়ার চাপ থাকা সত্ত্বেও সংস্কৃতির চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন জোহানা। অবসর পেলে নিজে লিখতে বসেন কবিতা। প্রিয় কবিদের মধ্যে রয়েছেন নির্মলেন্দু গুণ ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।জোহানা বলেন, ‘চাই একজন ভালো প্রকৌশলী হতে আর স্বপ্ন দেখি সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে সমাজ বদলের।’তিনি জানান, একটি দেশের বড় পরিচয় তাঁর সংস্কৃতি। আমাদের দেশের সংস্কৃতি গণমানুষের কথা বলবে। শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংস্কৃতি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। স্বপ্ন দেখেন সংস্কৃতি হবে সর্বজনীন। আর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না। তিনি চান অভিনয় ও আবৃত্তি চর্চার মধ্য দিয়ে দেশের সব অসংগতি তুলে ধরতে। অধিকারবঞ্চিত মানুষের অধিকার অর্জনে নাটককে সঙ্গী করে লড়াই করতে। | 11,811 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ এপ্রিল ২০১৪, ১৭:৩৯ | ২২ এপ্রিল ২০১৪, ২০:০২ | রাজনীতি | null | সহায়তার ৫০ ভাগ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে দিন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/198745 | অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্বনির্ভরতার পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, বৈদেশিক সহায়তার ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে আমাদের জাতীয় আয়ের মাত্র ২ শতাংশ বৈদেশিক সহায়তার সমান। অধিকাংশ স্বল্পোন্নত দেশের অবস্থা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক খারাপ। বৈদেশিক সহায়তার অন্তত ৫০ শতাংশ যেন স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বরাদ্দ করা হয়, অর্থমন্ত্রী উন্নত দেশগুলোর প্রতি সে আহ্বান জানান।অর্থমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ে আয়োজিত ‘পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে স্বল্পোন্নত দেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান।বাংলাদেশ ও নরওয়ের যৌথভাবে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন ও নরওয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি গেইর পেডেরসেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে আজ মঙ্গলবার পাঠানো বার্তায় এ কথা জানানো হয়।বিশ্ব বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পিছিয়ে থাকার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোকে তাদের বাণিজ্যনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো সহজে ও বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানি করতে পারে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রযুক্তির ঘাটতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার জাতিসংঘের আওতায় প্রযুক্তি ও গবেষণাকেন্দ্রের আঞ্চলিক কেন্দ্র বাংলাদেশে স্থাপনে আগ্রহী। জলবায়ু পরিবর্তনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা সমাধানে অর্থমন্ত্রী উন্নত বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বাসস | 67,517 |
সোয়েল রানা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ জুলাই ২০১৯, ১২:১১ | ০১ জুলাই ২০১৯, ১৫:০২ | ছবির গল্প,দাবদাহ,আবহাওয়া | 0 | আষাঢ়ী গরম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1602027 | আষাঢ় বর্ষার মাস হলেও বৃষ্টি হচ্ছে কম, গরম পড়ছে বেশি। গরমে দেশের অনেক স্থানেই অবস্থা চরম। এখানে ছবিতে এরই কিছু নমুনা। | 408,219 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪৩ | ০৫ আগস্ট ২০১৩, ০১:৪৫ | সাভার,সাভার ভবনধস,রানা প্লাজা ধস,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ | null | ক্ষতিগ্রস্তদের সড়ক অবরোধ বেতন-ভাতা, ঈদ বোনাস দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/35028 | সাভারের রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা বেতন-ভাতা, ঈদ বোনাস ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গতকাল রোববার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে সড়কটিতে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। সাভার মডেল থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দেড় শতাধিক ব্যক্তি গতকাল বেলা ১১টার দিকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনের স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পাশাপাশি নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনেক স্বজনও ছিলেন। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা পাশের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পূর্ব পাশে অবস্থান নেন। ফলে সড়কের ওই পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা ঈদের আগেই বেতন-ভাতা, ঈদ বোনাস ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। খবর পেয়ে সাভার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর পুলিশ জোরপূর্বক তাঁদের সরানোর চেষ্টা করলে তাঁরা মহাসড়কের ওপরেই শুয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডা হয়। বেলা একটার দিকে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা শুরু করে। বেপরোয়া লাঠিপেটার পাশাপাশি লাথিও মারা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। লাঠির আঘাতে অন্তত ২০ জন বিক্ষোভকারী আহত হন। পারুল আক্তার ও মর্জিনা নামের গুরুতর আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় স্থানীয় লোকজন। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার আহত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে কিছুসংখ্যক শ্রমিক দুই মাসের বেতন ও পাঁচ হাজার টাকার সহায়তা ছাড়া আর কিছুই পাননি। আর নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনেরা সেটুকু থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। তাই ক্ষতিপূরণ ও বেতন-ভাতার জন্য তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। কিন্তু পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের আহত করেছে।তবে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামসুজ্জামান বলেন, বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে তাঁদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। তাঁদের লাঠিপেটা বা অন্য কোনোভাবে আঘাত করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। | 7,523 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৪:১৬ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৭:১২ | -1 | null | ছাত্রলীগের তিন নেতা পেলেন ডিএমপির পুরস্কার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/449179 | ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেছেন, অবরোধ-হরতালে নাশকতার কারণে যে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উন্নতি হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির তথ্যকেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন আছাদুজ্জামান মিয়া। নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের পুরস্কার দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুরস্কার পাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনই ছাত্রলীগের নেতা।ডিএমপির পক্ষ থেকে দেওয়া এই পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান, এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ও রিকশাচালক মোজাম্মেল হোসেন।এই চারজনকে ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে কাকে কী পরিমাণ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি। ডিএমপির দেওয়া পুরস্কারের বাইরে এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে রিকশাচালক মোজাম্মেলকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন।অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার দাবি করেন, ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধ ও হরতালে যে নাশকতা চালানো হয়েছিল, তা আগের চেয়ে কমে এসেছে। আছাদুজ্জামান জানান, অবরোধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে ১১টি যানবাহন ভাঙচুর ও ১৬৮টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দুজন পুলিশ ও এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। ডিএমপির কমিশনারের ভাষ্য, রাজধানীতে ককটেল-পেট্রলবোমা ছোড়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে ১৮৬ জন। এর মধ্যে ১০২ জন বিএনপির ও ৮৪ জন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ঢাকা মহানগর পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তার ভাষ্য, অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত এক হাজার ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। | 114,379 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২৪ জুলাই ২০১৪, ০১:৩১ | ২৪ জুলাই ২০১৪, ০১:৩২ | বিনোদন | 0 | আজকের ছবি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/275995 | এটিএন বাংলাসকাল ১০-৩০ এতটুকু ভালোবাসা (রাজ্জাক, সুজাতা, হাসমত, আলতাফ)।চ্যানেল আইবেলা ১-০৫ নন্দিত নরকে (সুমনা সোমা, ফেরদৌস)। এনটিভিসকাল ৮-৪৫ নীল আকাশের নিচে (রাজ্জাক, কবরী, আনোয়ার হোসেন)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ হারানো সুর।আরটিভিবেলা ১১-২০ পৃথিবী তোমার আমার (মিঠুন, শাবনূর, রিয়াজ)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-৫০ ভুল বিচার।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৩০ শেষ সংগ্রাম (মান্না, চম্পা)। এসএ টিভিসকাল ৯-৩০ সমাজকে বদলে দাও।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩০ মেম সাহেব (উত্তম কুমার, অপর্ণা সেন, বিকাশ রায়)জি বাংলা সিনেমাসকাল ৮-৩০ অন্তিম শ্বাস সুন্দর (সুব্রত দত্ত, ইন্দ্রানী হালদার, পরান ব্যানার্জি)। ১২-৩০ আমার ভাই আমার বোন (শাকিব খান, স্বস্তিকা, ভিক্টর ব্যানার্জি)। ৩-৩০ সংঘাত। ৬-৩০ রাজা গজা। ৭-০০ সাত পাকে বাঁধা। ৭-৩০ এরাও শত্রু। ৮-০০ মানো ইয়া না মানো। ৮-৩০ ফেয়ার ফাইলস। ৯-৩০ গুন্ডা ৪২০। জি সিনেমাসকাল ৯-২৪ শিবশক্তি (গোবিন্দ, কিমি কাতকার, অনিতা রাজ)। ১২-২৮ নাগ দেবতা (আব্বাস, সুন্দরীয়া)। ৩-২৫ আর্য: এক দিওয়ানা (আল্লু অজুর্ন, কাজল আগরওয়াল)। ৬-৩৭ হাম হ্যায় কামাল কে (শিবা, সুজয় মুখার্জি, কাদের খান)। ৯-০০ মোহরা (অক্ষয় কুমার, সুনিল শেঠি, রাভিনা, নাসিরউদ্দিন শাহ)।সেট ম্যাক্সসকাল ৯-০০ হালচাল (অক্ষয় খান্না, কারিনা কাপুর)। ১১-৩৭ যো জিতা ওহি সিকান্দর (আমির খান, আয়শা জুলখা)। ৩-২০ ভাবি (গোবিন্দ, জুহি চাওলা, ভানুপ্রিয়া)। ৬-০৪ বাস্তব (সঞ্জয় দত্ত, নম্রতা)। ৯-২৫ লাগে রহো মুন্নাভাই (সঞ্জয় দত্ত, আরশাদ ওয়ার্সি, বিদ্যা বালান)। স্টার মুভিজ (ভারত)সকাল ৯-০০ কন এয়ার (নিকোলাস কেজ, জন ক্যুসেক, জন মালকোভিচ)। ১১-৩০ সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস (হ্যারিসন ফোর্ড)। ১-৩০ ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস (জাস্টিন টিম্বারলেক, মিলা কুনিস)। ৩-০০ জুরাসিক পার্ক থ্রি (স্যাম নিল, টি লেওনি, উইলিয়াম এইচ মেসি)। ৫-০০ ব্রুস অলমাইটি (জিম ক্যারি, মরগ্যান ফ্রিম্যান, জেনিফার অ্যানিস্টন)। ৭-০০ চায়নিজ জোডিয়াক (জ্যাকি চ্যান, অলিভার প্ল্যাট)। ৯-৩০ অ্যাভাটার।ফক্স মুভিজসকাল ৯-৪৫ দ্য টোয়াইলাইাট সাগা: ব্রেকিং ডন (রবার্ট প্যাটিনসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট)। ১১-৪০ পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: ডেড ম্যান’স চেস্ট (জনি ডেপ, অরল্যান্ডো ব্লুম)। ২-১০ আইস এজ। ৩-৪৫ মিস্টার বিন’স হলিডে (রোয়ান অ্যাটকিনসন)। ৫-২০ দ্য সিকার: দ্য ডার্ক ইজ রাইজিং। ৭-০০ দ্য হোস্ট (ডায়ানে ক্রুগার)। ৯-০৫ সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস। ১০-৫০ রে ডনোভ্যান। ১১-৪৫ মিস্টার বিন’স হলিডে।এইচবিওসকাল ৯-০০ কামবাসচন। ১০-৩১ মাইনোরিটি রিপোর্ট (টম ক্রুজ, কলিন ফ্যারেল)। ১-১২ কিল বিল। ৫-২৭ মাশারি (ড্যানি ট্রেজো, স্টিভেন সিগ্যাল)। ৭-১৫ দ্য গোল্ডেন কম্পাস (ড্যানিয়েল ক্রেগ, নিকোল কিডম্যান)। ৯-৩০ মোক ইয়োর মুভ। ১১-৪০ স্টেপ আপ রেভোল্যুশন। | 80,418 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৩০ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৩১ | আরব বিশ্ব | 0 | আরাফাতকে বিষ প্রয়োগ করা হয়নি | http://www.prothom-alo.com/international/article/89698 | ফ্রান্সে চালানো ফরেনসিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতকে বিষ প্রয়োগ করা হয়নি। আগের অন্য একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আরাফাতকে যে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল, তা প্রায় নিশ্চিত।আরাফাতের স্ত্রী সুহা আরাফাতকে নতুন এ তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি দেখেছেন এমন একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে বলা যায়, আরাফাত বিষপ্রয়োগে মারা যাননি।’সুইজারল্যান্ডের বিশেষজ্ঞরা গত মাসে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি নেতার দেহাবশেষ নিয়ে যে পরীক্ষা তাঁরা করেছেন, তাতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পোলোনিয়ামের বিষক্রিয়ার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ফল মিলেছে। তবে তিনি যে পোলোনিয়ামের কারণেই মারা গেছেন, তাঁরা এ ব্যাপারে এক শ ভাগ নিশ্চিত নন। এদিকে ফিলিস্তিনি তদন্তকারীরা ও আরাফাতের এক ভাগনে বলেছেন, তাঁরা প্রতিবেদনটি না দেখে এ ব্যাপারে কিছু বলতে চান না।ফিলিস্তিনি নেতাদের অনেকেই মনে করেন, আরাফাতকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। রয়টার্স। | 32,920 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০১ মার্চ ২০১৯, ১৫:০০ | ০২ মার্চ ২০১৯, ১৫:২০ | ভারত,এশিয়া,পাকিস্তান,ভারত পাকিস্তান সংঘাত,কাশ্মীর | null | কাশ্মীর নিয়ে লড়াই কেন? | http://www.prothom-alo.com/international/article/1581362 | পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের সশস্ত্র সংঘাতের ইতিহাস দীর্ঘ। তুষারাবৃত পার্বত্য এলাকা কাশ্মীর তারা নিয়ন্ত্রণ করছে ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। এই এলাকাটি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যেকোনো সময় আবারও যুদ্ধ অনিবার্য।গত বুধবার পাকিস্তান ও ভারতের যুদ্ধবিমানগুলো কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় আকাশযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এতে ভারত হারিয়েছে দুটি যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন এক পাইলট। আর পাকিস্তান হারিয়েছে একটি যুদ্ধবিমান। এই আকাশযুদ্ধের আগের দিনই, মঙ্গলবার ভোররাতে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। ভারত সরকারের দাবি, তারা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিসংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলা চালায় এই জঙ্গি সংগঠন। সংঘাতের শিকড় কোথায়?১৯৪৭ সালের আগস্টে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। একটি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান, অন্যটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত। (বাংলাদেশ প্রথমে পাকিস্তানের অংশ থাকলেও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।) হঠাৎ এই দেশভাগে বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারত থেকে পাকিস্তানে, পাকিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়। দাঙ্গায় নিহত হয় হাজারো মানুষ।দেশভাগ হলেও হিমালয়ের পাদদেশের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা জম্মু-কাশ্মীরের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কাশ্মীর তখন স্থানীয় এক রাজার শাসনাধীন। দেশভাগের পরপরই সেখানে সংঘাত শুরু হয়। ভারত ও পাকিস্তান সেনা পাঠায় সেখানে। পাকিস্তান কাশ্মীরের এক-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়, আর ভারতের নিয়ন্ত্রণে যায় দুই-তৃতীয়াংশ। তবে কাশ্মীরের রাজা যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, তাতে এই অঞ্চল ভারতের অংশ হওয়ার কথা। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য জাতিসংঘ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করে। সুপারিশে বলা হয়, জনগণের রায় যেদিকে যাবে, কাশ্মীর হবে সে দেশের অংশ। কিন্তু সেই নির্বাচন আর হয়নি। এদিকে ভারত ও পাকিস্তান নিজ নিজ নিয়ন্ত্রিত এলাকা পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু উভয় দেশ কখনোই পুরো ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার প্রত্যাশা ছাড়েনি। ফলাফল, দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলা বিনিময় হয়।এদিকে দুই দেশের সংঘাতের সুযোগে কাশ্মীরে মাথাচাড়া দেয় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠীর অনেকগুলোই পাকিস্তানের মদদপুষ্ট। জঙ্গি সংগঠনগুলো কখনো কখনো ভারতের মধ্যে ঢুকেও হামলা চালিয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হামলার ঘটনাটি হলো ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলা।উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল কেন?সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রধানতম কারণ পুলওয়ামায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে জঙ্গি হামলা। তবে উত্তেজনা বাড়ার পেছনে রাজনৈতিক কারণও রয়েছে। ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আগামী মে মাসে এই নির্বাচন। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে উদ্গ্রীব। এদিকে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সদ্য ক্ষমতায় এসেছেন। গত বছরের নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর সমর্থন পেয়েছেন তিনি। কাজেই ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াতে তিনি যে প্রস্তুত, তা প্রদর্শন তাঁর জন্য জরুরি।পরবর্তী সময়ে কী ঘটতে পারে?কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে ২০১৬ সালে জঙ্গি হামলা হয়। এরপর ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে জঙ্গি আস্তানায় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ পরিচালনা করে। পাকিস্তান অবশ্য এ ধরনের কোনো অভিযানের কথা স্বীকার করেনি।সাংবাদিক এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে বই রচয়িতা মাইরা ম্যাকডোনাল্ড বলেন, উরির হামলার পর চালানো অভিযানটি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত সরকার সে সময় পশ্চিমা বিশ্বের সহানুভূতি পেয়েছিল। কিন্তু এবার ভারতের যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, পাইলট আটক হয়েছেন। কাজেই পরিস্থিতি যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে। | 392,187 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ মে ২০১৫, ০১:২১ | ২৭ মে ২০১৫, ০১:৩৩ | মহানগর | 0 | সরকারি ছুটির দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/538372 | বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সিলেট জেলা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বেলা ১১টায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কিন্তু পূজায় সরকারিভাবে ছুটি না থাকায় উৎসব পূর্ণতা পায় না। সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব রেখে অনন্ত তিন দিন দুর্গাপূজার ছুটি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট| | 142,353 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:১৮ | ১৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:১৮ | গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ | 0 | পোশাকশ্রমিকদের কর্মসূচিতে হামলা, আটক ১০ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1291936 | গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বাড়ৈপাড়া এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তা, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ৈপাড়া এলাকায় গতকাল দুপুরে হেসং বিডি লিমিটেডের তৈরি পোশাক কারখানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকেরা। চলতি বছরের শুরু থেকে বার্ষিক ছুটির টাকা তিন মাস আগে পরিশোধের দাবি তোলেন শ্রমিকেরা। এর জের ধরে গত ৯ মার্চ দুপুরে কারখানার স্টাফ ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ ২১৮ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। কিন্তু ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের বার্ষিক ছুটি, পাঁচ মাসের বেতন-ভাতা ও আইনানুগ পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। ওই ঘটনায় ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকেরা বিজিএমইএ, কলকারখানা অধিদপ্তর, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করার তারিখ দিলেও তা পরিশোধ করেনি। গতকাল সকালে অবস্থান কর্মসূচির লক্ষ্যে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকেরা ওই কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পেয়ে দুপুরে বাড়ৈপাড়া-জালশুকা সড়কে অবস্থান নিয়ে ঝাড়ু মিছিল করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ওই কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কারখানার ভাড়াটে লোকজন লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালান। জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকেরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও রক্ষা পাননি। ধাওয়া করে তাঁদের এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাফিয়া পারভিন, গাজীপুর-২ শিল্প পুলিশের এএসআই শাহিনুর ইসলামসহ কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক আহত হন। তাঁদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে ঝুট ব্যবসায়ী হুমায়ুন ও কারখানার দুই স্টাফকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাফিয়া পারভিন কালিয়াকৈর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কর্মকর্তাসহ ১৬-১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়।জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা সাফিয়া পারভিন বলেন, ‘বিজিএমইএ, কলকারখানা অধিদপ্তর, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে ছয়বার চুক্তি করলেও শ্রমিকদের বার্ষিক ছুটির টাকা, পাঁচ মাসের বেতন, ভাড়া ও আইনানুগ পাওনা পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ৬ আগস্ট পাওনাদি পরিশোধের কথা থাকলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা করেনি। আমরা ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ সময় কারখানার ভাড়াটে কিছু লোকজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন।’হেসং বিডি কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। এরপরও বহিরাগত কিছু শ্রমিকনেতার উসকানিতে তাঁরা কারখানার একজন স্টাফকে মারধর করেন। পরে কারখানার অন্য শ্রমিকেরা বাইরে গিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেন।শিল্প পুলিশ গাজীপুর-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কারখানার কর্মকর্তারা ও বহিরাগত কিছু লোক হামলা চালিয়েছেন। এতে শিল্প পুলিশের এএসআইসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। | 333,354 |
এএফপি | international | আন্তর্জাতিক | ০৮ মার্চ ২০১৭, ০২:১৬ | ০৮ মার্চ ২০১৭, ০২:১৭ | যুক্তরাষ্ট্র | 0 | সিআইয়ের হ্যাকিং কৌশল ফাঁস করল উইকিলিকস | http://www.prothom-alo.com/international/article/1100959 | যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কীভাবে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি হ্যাক করে অনুপ্রবেশ করে, তা ফাঁস করে দেওয়ার দাবি করেছে উইকিলিকস। গতকাল মঙ্গলবার ইন্টারনেটে প্রকাশ করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর বিস্তারিত জানিয়েছে উইকিলিকস।উইকিলিকস বলেছে, সিআইএ এমন সব ম্যালওয়্যার তৈরি করেছে, যা দিয়ে ইন্টারনেট সুবিধাসংবলিত স্মার্ট টিভি থেকে শুরু করে গাড়ি পর্যন্ত যেকোনো ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিশেষ করে অ্যানড্রয়েড ও অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেম আইওএসচালিত মোবাইল ফোন হ্যাক করা সম্ভব। আর এভাবে মোবাইল ফোন হ্যাক করে হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা তথ্যও হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। এ ছাড়া উইন্ডোজ, লিনাক্সসহ বিভিন্ন কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম হ্যাক করার উপায়ও বের করেছে সিআইএ।উইকিলিকস জানায়, তাদের হাতে থাকা নথি অনুযায়ী, সিআইএ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে (এনএসএ) ‘বিরোধী পক্ষ’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি হ্যাক করার প্রকল্প হাতে নেয়। এ-সংক্রান্ত গুপ্তচরবৃত্তির কাজে যুক্তরাষ্ট্রের মূল প্রতিষ্ঠান এনএসএ।উইকিলিকস তাদের দাবির সপক্ষে প্রায় নয় হাজার নথি হাতে থাকার দাবি করেছে। বলা হচ্ছে, সিআইয়ের একটি সূত্র এসব নথি সরবরাহ করেছে। একে ‘সবচেয়ে বড়’ গোয়েন্দা নথি ফাঁস বলে মন্তব্য করেছে উইকিলিকস।সিআইয়ের মুখপাত্র জোনাথন লিউ বলেছেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যসম্পর্কিত কোনো নথির সত্যতা বা বিষয় নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করব না।’উইকিলিকসের দাবি, সিআইয়ের যেসব নথি তাদের হাতে এসেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই ‘হ্যাক করার কৌশল’। এসব নথিতে প্রায় কয়েক শ মিলিয়ন কোড লেখা আছে। গোয়েন্দা সংস্থাটি ভাইরাস, ট্রোজান ও অন্যান্য সফটওয়্যার মিলিয়ে এক হাজারের বেশি ম্যালওয়্যার তৈরি করেছে।উইকিলিকস বলেছে, এসব ফাঁস হওয়া নথি থেকে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে এসব সাইবার অস্ত্র শুধু সিআইয়ের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। বরং অন্য হ্যাকারদেরও এগুলো ব্যবহার করতে দিয়েছে সিআইএ। এক বিবৃতিতে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, সাইবার অস্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত বিস্তারের ‘ব্যাপক ঝুঁকি’ এসব নথিতে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। | 300,670 |
পঞ্চগড় প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৫, ০০:৩৬ | ১৮ নভেম্বর ২০১৫, ০০:৩৮ | পঞ্চগড়,বিশাল বাংলা | 0 | পঞ্চগড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/686413 | পঞ্চগড় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ওই প্রতিযোগিতা হয়।গতকাল সকাল ১০টা থেকে এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে ৩৫টি ইভেন্টে পাঁচ উপজেলা থেকে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে মেডেল ও সনদ বিতরণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিফ উল হাসান। অনুষ্ঠানে সৈয়দ জাকির হোসেন, প্রহ্লাদ চন্দ্র বর্মণ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। | 175,436 |
হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক, ঢাকা | entertainment | বিনোদন | ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১১:২৮ | ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:০৩ | আলাপন,জাকিয়া বারী মম | 0 | আমার তো মনে হয় এই তো সেদিন শুরু করলাম | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1560652 | কদিন আগে ‘কাঁচের পুতুল’ নামে নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করেছিলেন অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। আজ থেকে প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে প্রচারিত হবে ধারাবাহিকটি। এটি রচনা করেছেন মেজবাহ উদ্দিন এবং পরিচালনা করেছেন হিমেল আশরাফ। এই নাটকে অভিনয় এবং অভিনয়জীবনের ১২ বছর নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন মম।আজ (গতকাল সোমবার) শুটিং করছেন না? না। এখন শুটিং করি খুব নিয়ম মেনে। একটানা ৩০ দিন শুটিং করার নিয়ম থেকে বের হয়ে আসছি।তাহলে মাসে কদিন শুটিং করছেন?মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন শুটিং করছি, সামনেও করব। তা-ও যদি ভালো কাজ হয় এবং পছন্দ হয়। আমি মনে করি, ৫০টা আজেবাজে কাজ করার চেয়ে ৫টা ভালো কাজ করা ভালো।ভালো কাজ চেনার উপায় কী?ভালো চিত্রনাট্য, ভালো পরিচালক, ভালোভাবে পরিবেশন এবং আমার চরিত্র। সব মিলিয়ে ভালো হলে তবেই ‘হ্যাঁ’ বলছি।আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) থেকে এনটিভিতে ‘কাঁচের পুতুল’ ধারাবাহিকের প্রচার শুরু হচ্ছে। এটা কি আপনার হিসাবে ভালো ছিল?হ্যাঁ, এটা ভালো ছিল বলেই শুটিং করেছি। যেহেতু ধারাবাহিক নাটক, তাই সামনে আরও কিছুদিন শুটিং করতে হবে। যে রকম গল্পে আর চরিত্রে কাজ করতে চাই, এটা সে রকমই একটা গল্প। এক মেয়ের জীবন ঘিরে পুরো গল্প এগিয়েছে।এর আগেও তো একটা মেয়ের জীবনের গল্প ঘিরে তৈরি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। যেমন বাংলাভিশনে প্রচার শেষ হয়েছে ‘প্রজ্ঞার দিন’, নাগরিক টিভিতে ‘লিপস্টিক’। এগুলো থেকে এটার পার্থক্য কী?দেখুন, একটা মেয়ের জার্নি হলেও একেকটার গল্প একেক রকম। চরিত্র আলাদা আলাদা। তাই এক করা যাবে না। তবে সত্যি বলতে, ধারাবাহিক নিয়ে এখন আগের মতো সাড়া পাওয়া যায় না। ২০১০ সালের দিকেও সাড়া পাওয়া যেত। এখন ধারাবাহিকের চেয়ে একক নাটকে বেশি সাড়া পাই।একটা ধারাবাহিক শুরুর সময় তো পরিকল্পনা থাকে, শেষ অবধি সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয়?শুরুর পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারাবাহিকতা থাকে না। কেন থাকে না—এটার সঠিক উত্তর আমি দিতে পারব না। সমস্যা হলো, একটা ধারাবাহিকের সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত থাকে। সবকিছুর সমন্বয় করে কাজটা করা হয় না।আপনি অভিনয়ে ১২ বছর পার করলেন, কেমন লাগছে?আমার তো মনে হয় এই তো সেদিন শুরু করলাম। কীভাবে কীভাবে ১২ বছর হয়ে গেল, বুঝতেই পারছি না। তবে আমি প্রতিটা দিন নতুন করে শুরু করি। নতুন চরিত্র পেলে আমি এখনো চিন্তায় পড়ে যাই। আমার কাছে নতুনই লাগে সবকিছু।এই ১২ বছরে আপনার তিনটা অর্জন বলুন। মানুষের ভালোবাসা, ভালোবাসা এবং ভালোবাসা।ইনবক্সে কী ধরনের বার্তা পেলে বিরক্ত লাগে? আপু, আপনার সঙ্গে অ্যাড হতে চাই।শিহাব শাহীন নায়ক হলে নায়িকা হিসেবে কাকে চান? বলিউডের প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে চাই।নির্মাতা হিসেবে কাকে এগিয়ে রাখবেন, অরুণ চৌধুরী নাকি শিহাব শাহীন? এটা খুবই বাজে প্রশ্ন। আমি এটার উত্তর দেব না। | 379,145 |
জয়পুরহাট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪১ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৪ | জয়পুরহাট,বিশাল বাংলা,রাজশাহী বিভাগ,আইন ও বিচার | 0 | পুলিশের মামলায় বিএনপির ১৬ নেতার জামিন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1061085 | পুলিশের করা মামলায় জয়পুরহাট জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতা আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের পর আদালত তাঁদের জামিন দিয়েছেন। গতকাল সোমবার তাঁরা আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন।মামলা ও জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোজাহার আলী প্রধান, সহসভাপতি আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়র রহমান, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য মমতাজ মণ্ডলসহ ১৬ নেতা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। আদালতে জামিন শুনানি শেষে জয়পুরহাট অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ ইকবাল বাহার তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেন।৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি গণতন্ত্রের কালো দিবস উপলক্ষে শহরের রেলগুমটি বিএনপির কার্যালয় থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করে। মিছিলটি পৌর মার্কেটের সামনে এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়।মোজাহার আলী প্রধান দাবি করেন, পুলিশ গুলি ছুড়লে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।এদিকে সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন দাবি করেন, সেই সময় পুলিশ কোনো গুলি ছোড়েনি।জয়পুরহাট সদর থানার এসআই আবদুল খালেক বাদী হয়ে ৬ জানুয়ারি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২২ শীর্ষ নেতার নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্যে বাধা ও পুলিশকে মারপিটের অভিযোগ আনা হয়। | 284,199 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১৯ | ০২ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৩৩ | সিটি নির্বাচন,রাজনীতি,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | মন্ত্রী মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন মনজুর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/492814 | গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের পক্ষে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করা হয়।অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো প্রকারে জিততে হবে’—মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের এ বক্তব্য ভোটারদের মাঝে ভীতি ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আচরণবিধি অনুযায়ী মন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারাভিযান শুরু হওয়ার আগে এ ধরনের কর্মকাণ্ড জোরজবরদস্তি করে ভোটকেন্দ্র দখল ও গণরায় ছিনতাইয়ের আগাম হুমকি ছাড়া আর কিছুই নয়।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার নগরের একটি হোটেলে চট্টগ্রামের মন্ত্রী, সাংসদ, আওয়ামী লীগের নেতারা নাছিরকে জিতিয়ে আনতে বৈঠক করেন। এটি আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানানো হয়।যেকোনো প্রকারে জিততে হবে: মন্ত্রী মোশাররফগতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের কর্মী আবদুল ওয়াহাব কাসেমী অভিযোগটি জমা দেন। মনজুর আলম ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের’ ব্যানারে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি যাচাই করে ব্যবস্থা নেব।’অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল রাতে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সরকারের আমলে আমরা কেবল দুটি সিটি নির্বাচনে জিতেছি। বাকি সাতটি সিটিতে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী জিতেছেন। এই চিত্র থেকে বোঝা যায়, সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। চট্টগ্রামের নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। এতে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে।’মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব এস ইউ এম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারবে কি না আমরা সন্দিহান। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। কমিশন কী করে সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।’ | 127,904 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১১:২৭ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১২:২৫ | ফ্রিল্যান্সিং | null | ‘ছোট’ কাজে কত টাকা? | http://www.prothom-alo.com/technology/article/47014 | কোনো কাজই ছোট নয়। তবে ‘মাইক্রো ওয়ার্ক’ বা ‘ছোট কাজ’ দিন দিন অনলাইনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।কখনো সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করে লাইক দেওয়া, ফরমায়েশে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, অনলাইনে ভোট দেওয়া, মন্তব্য করা, বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা, বিজ্ঞাপন দেখা প্রভৃতি মাইক্রো ওয়ার্কের মধ্যে পড়ে। দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন ঘরে বসে ‘মাইক্রো ওয়ার্ক’ করেও আয় করছেন। কিন্তু শ্রম ও সময় ব্যয়ের সঙ্গে পারিশ্রমিক ঠিকঠাক মিলছে তো?অনলাইনে ‘মাইক্রো ওয়ার্ক’-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নানা ধরনের ছোটখাটো কাজের জন্য ভারচুয়াল কর্মী নিয়োগের হার বাড়ছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে।এ ধরনের সাইটগুলোতে কাজ করতে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের প্রোফাইল তৈরি করতে হয়। এরপর সাইটে পোস্ট করা কাজগুলোর মধ্য থেকে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ বেছে নেওয়া যায়।বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো এক সপ্তাহে মাইক্রো ওয়ার্কিং সাইট বা প্ল্যাটফর্মগুলোতে ৩৭ ঘণ্টার বেশি পরিশ্রম করে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ টাকা আয় করা সম্ভব হয়।বিবিসির একজন কর্মী ওই প্রতিবেদনে লিখেছেন, তিনি এক সপ্তাহ ধরে মাইক্রো ওয়ার্কিং সাইটগুলোতে প্রাণান্ত পরিশ্রম করেন। নিজের দক্ষতার পাশাপাশি সময়ের অপচয় করে ‘মাইক্রো ওয়ার্কিং’ সাইটে এক সপ্তাহ কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, এই সাইটগুলো থেকে আশানুরূপ আয় করা সম্ভব হয় নয়।‘মাইক্রো ওয়ার্ক’ বা ক্ষুদ্র কাজদাতা হিসেবে অনলাইনে বিভিন্ন সাইট রয়েছে। এসব সাইটে কাজের মধ্যে রয়েছে ‘সাইন আপ’, ‘লাইক’, ‘ভোট’, ‘গেম’, ‘বিজ্ঞাপন ক্লিক’, ‘ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখা ও রেটিং দেওয়া’, ‘জরিপ’, ‘অনুবাদ’, ‘রিভিউ’ ‘ক্ষুদ্র ব্লগ’ প্রভৃতি। প্রতিটি কাজের জন্য খুবই কম পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেন কাজদাতা। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ‘মাইক্রো ওয়ার্কার্স’ নামের একটি সাইটে ‘সাইনআপ’-এর মতো একটি কাজ করে মাত্র সাত টাকা আয় হয়। এ ধরনের কাজে পাঁচ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।বিভিন্ন সাইটে লাইক দেওয়া, সাইন আপ করা প্রভৃতি ক্ষুদ্র কাজের মাধ্যমে ২০ ডলার জমা হলেই কেবল অর্থ উত্তোলনের জন্য আবেদন করা যায়। এ অর্থ থেকে আবার কিছু কেটেও রাখা হয়। তবে কিছু সাইটে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এক ডলার পর্যন্ত বোনাস দেয়। এ ধরনের কাজের জন্য নিজের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট, ই-মেইল অ্যাকাউন্ট, ব্যক্তিগত তথ্য প্রভৃতি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।মাইক্রো ওয়ার্কিংয়ের জন্য জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে ‘ক্লিক ওয়ার্কার’। এ সাইটে অ্যাকাউন্ট খোলা ও প্রোফাইলের তথ্য শতভাগ পূরণ হলে তবে কাজ পাওয়া যায়। এসব সাইটে কাজ করার পর অর্থ পরিশোধের বিষয়টি নির্ভর করে কাজদাতার ইচ্ছার ওপর।বিভিন্ন সাইটে কাজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সময় ও শ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক নামমাত্র। এ ক্ষেত্রে বাস্তবিক দুনিয়ার কাজের মতো দ্রুত টাইপ, সৃজনশীল লেখা, সামান্য গবেষণা ও দক্ষতার ছোঁয়া দেখাতে পারলে অবশ্য শ্রমের মূল্য আসতে পারে।মাইক্রো ওয়ার্কিংয়ে অভিজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, যাঁরা নতুন এবং মাইক্রো ওয়ার্ক করার কথা ভাবেন, তাঁদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, ভালো পারিশ্রমিক পেতে অমানুষিক শ্রম দিতে হবে। | 16,104 |
মঈন চৌধুরী | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১৫ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১৭ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,পরামর্শ | 0 | র্যামে সমস্যা? | http://www.prothom-alo.com/technology/article/775651 | কম্পিউটারের গতি আর কাজ করার ক্ষমতা কমে যাওয়ার প্রধান একটি কারণ এর মেমোরি বা র্যামের (র্যান্ডম অ্যাকসেস মেমোরি) স্বল্পতা কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটি। কখনো কখনো কম্পিউটার হঠাৎ করে বন্ধ হওয়া, উইন্ডোজ-চালিত কম্পিউটারে নীল পর্দা দেখানো (যাকে বলে ব্লু স্ক্রিন অব ডেথ) ইত্যাদি হলে মোটামুটিভাবে ধরে নেওয়া যায় র্যামে সমস্যা থাকতে পারে। অবশ্য কম্পিউটার যন্ত্রাংশের অন্যান্য কারণেও এমনটা হতে পারে। র্যামে সমস্যা আছে কি না তা নিশ্চিত হতে কিছু পরীক্ষা নিজেই করা যায়। এ জন্য উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে নিজস্ব একটি ছোট অ্যাপ্লিকেশন বা উইন্ডোজ মেমোরি ডায়াগনসিস টুল আছে। এ ছাড়া তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যারের মাধ্যমে র্যামের ত্রুটি ধরার ব্যবস্থা করা যায়।উইন্ডোজ কম্পিউটারের স্টার্ট বোতামে ক্লিক করে সার্চ বক্সে বা Windows Key + R চেপে রানে গিয়ে mdsched.exe লিখে এন্টার করুন। মেমোরি ডায়াগনসিস টুলটি চলে আসবে। সেখানে দুটি অপশন পাওয়া যাবে, প্রথমটিতে ক্লিক করলে কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়ে মেমোরি পরীক্ষা শুরু করবে। আর দ্বিতীয় অপশনটিতে ক্লিক করলে পরের বার যখন কম্পিউটার চালু হবে, তখন র্যামের পরীক্ষাটা সেরে নেবে। পরীক্ষা চলার সময়ে বা কম্পিউটার চালু হলে তখন র্যামে কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা জানা যাবে।এ ছাড়া বিনা মূল্যের আরেকটি টুল আছে—মেমটেস্ট ৮৬ (Memtest 86)। এটি দিয়ে একটি ইউএসবি পেনড্রাইভের মাধ্যমে কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় র্যাম পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। টুলটি http://www.memtest86.com/download.htm ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে Image for creating bootable USB Drive-এ ক্লিক করে জিপ ফাইলটি নামিয়ে নিন। এবার পেনড্রাইভ কম্পিউটারে প্রবেশ করান।আনজিপ করার পর ফোল্ডারটি খুলে imageUSB. exe অ্যাপলিকেশনটিতে ক্লিক করলে পেনড্রাইভে ইমেজটি লেখার উইন্ডো আসবে। নির্দিষ্ট পেনড্রাইভটি নির্বাচন করে মাঝামাঝি থাকা Write to UFD বোতামে ক্লিক করুন। এ অবস্থায় পেনড্রাইভের সবকিছু মুছে এফএটি ফাইল সিস্টেমে ফরম্যাট করে টুলটি বুটেবল অবস্থায় তৈরি হয়ে যাবে। এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট দিয়ে চালু হওয়ার সময় বায়োস থেকে বা কিবোর্ডের F2 বা F10 বা F12 (নিজের সিস্টেমের ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য) চেপে বুট ডিভাইস নির্বাচন করার অপশনটি চালু করতে হবে। সেখান থেকে ইউএসবি স্টোরেজ বা রিমোভেবল স্টোরেজ ড্রাইভটি নির্বাচন করে এন্টার করুন। র্যামের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। এ অবস্থায় পরীক্ষাটি শেষ হতে বেশ কিছু সময় লাগতে পারে। | 203,882 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৯ মার্চ ২০১৬, ০০:১৯ | ২৯ মার্চ ২০১৬, ০০:১৯ | বাণিজ্য | 0 | বিনা শর্তে কালোটাকার সুযোগ চায় রিহ্যাব | http://www.prothom-alo.com/economy/article/812731 | আবাসন খাত চাঙা করতে তৃতীয়বারের মতো ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য বিনা শর্তে কালোটাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। ৫-১০ বছরের জন্য সুবিধাটি চায় সংগঠনটি। বর্তমানে শর্ত সাপেক্ষে আবাসন খাতে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ আছে।এ ছাড়া আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে গৃহঋণের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল, সেকেন্ডারি বাজার প্রচলন, কর অবকাশ, নিবন্ধন কর কমানোসহ ১৮টি দাবি জানিয়েছে রিহ্যাব। সরকারের কাছে দাবিগুলো তুলে ধরতে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ে প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে রিহ্যাব। এ ছাড়া কাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বাজেট আলোচনায় নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলবেন রিহ্যাব নেতারা।কালোটাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ দিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেটে অর্থ আইন, ২০১৩-এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এ ১৯ বিবিবিবিবি নামের একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়। এতে বলা হয়, নির্ধারিত কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করা যাবে। অবৈধ ও অপরাধ সংঘটন করে অর্জিত কোনো অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীকে অর্থের উৎস উল্লেখ করতে হবে। মূলত এখানেই আপত্তি রিহ্যাবের। সংগঠনটি বলছে, যাঁরা ফ্ল্যাট কিনবেন, তাঁদের আয়ের উৎস না খোঁজার বিষয়টি উল্লেখ করে আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ (বিবিবিবিবি) ধারা পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। ২০১১ সালে এটি রহিত করা হয়।বিনা শর্তে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগের পক্ষে রিহ্যাব যুক্তি দেখিয়েছে, আইনটি পুনঃপ্রবর্তন করা না হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। এ ছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলে ভবিষ্যতে ওই বিনিয়োগকারীরা করজালের মধ্যে আসবে। তাতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।বাজেট প্রস্তাবে রিহ্যাব দাবি করেছে, বিভিন্ন কারণে আবাসনশিল্পের বিক্রয় ৬০ শতাংশ কমে গেছে। শিল্পকে বাঁচাতে শিগগিরই গৃহঋণের নামে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা প্রয়োজন। সেই তহবিল থেকে ঢাকার আশপাশে দেড় হাজার বা তার ছোট ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার দাবি করেছে সংগঠনটি।কয়েক বছর ধরেই রিহ্যাব এই তহবিল গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। গত ডিসেম্বরে রিহ্যাবের শীতকালীন মেলা উদ্বোধনের সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনও আবাসন খাতের জন্য সরকারকে ২০-৫০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল করার অনুরোধ করেন।বর্তমানে ফ্ল্যাট ও প্লট নিবন্ধনের সময় ১৪ শতাংশ কর ও ফি দিতে হয়। এর মধ্যে ৪ শতাংশ করে গেইন ট্যাক্স, স্ট্যাম্প ফি ৩ শতাংশ, নিবন্ধন ফি ২ শতাংশ, স্থানীয় সরকার কর ২ শতাংশ ও ৩ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দিতে হয়। এই অত্যধিক ব্যয়ে ক্রেতারা নিবন্ধনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এমন বিবেচনায় সংগঠনটির প্রস্তাব, সব মিলিয়ে নিবন্ধন-সংশ্লিষ্ট কর ও ফি ৭ শতাংশ করা হোক। এর মধ্যে ২ শতাংশ গেইন ট্যাক্স; স্ট্যাম্প ডিউটি ও মূসক দেড় শতাংশ, নিবন্ধন ফি ও স্থানীয় সরকার কর ১ শতাংশ। অবশ্য চলতি অর্থবছরের বাজেটের আগে একই দাবি করলেও বিবেচনায় নেয়নি এনবিআর।জমি ও নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে আবাসন ব্যবসায়ীদের মুনাফা হ্রাস পেয়েছে। এমন যুক্তিতে আগামী বাজেটে আয়কর যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি করছে রিহ্যাব। এ ছাড়া নামমাত্র নিবন্ধন নির্ধারণ করে সেকেন্ডারি বাজারব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রস্তাব-নিবন্ধন-সংশ্লিষ্ট কর ও ফি কমিয়ে সাড়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এমনটি হলে একই সম্পত্তি একাধিকবার হাত বদল হবে, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।এদিকে পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণে কর রেয়াত সুবিধা চায় রিহ্যাব। এমন সুযোগ দিলে উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব প্রকল্প নিয়ে আগ্রহী হবেন বলে মনে করে সংগঠনটি। | 215,262 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ৩০ জুলাই ২০১৫, ০২:১৯ | ৩০ জুলাই ২০১৫, ০২:২১ | দেশের ফুটবল,খেলা | 0 | কোটান যেতেই অচেনা আবাহনী | http://www.prothom-alo.com/sports/article/588562 | আবাহনী-মোহামেডান রানার্সআপ হতে খেলে না। কথাটা খুব শোনা যায় চায়ের আড্ডায়। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও রানার্সআপ হতে তো কেউ বাধা দেয়নি। অন্তত দ্বিতীয় হওয়ার একটা সান্ত্বনা থাকেই। আবাহনী বড় বাজেটের দল গড়েও সেই সান্ত্বনাটুকুও এবার পাবে বলে মনে হচ্ছে না।জর্জ কোটানকে বিদায়ী উপহার হিসেবে আকাশি-নীল দল ঈদের এক দিন আগে খেলেছিল নিজেদের সেরা ম্যাচ। ৫ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল শেখ রাসেলের মতো দলকে। সেই ধারালো আবাহনীকে আর চেনা যাচ্ছে না। তাদের গতিহীন ফুটবলে ভুল পাসের ছড়াছড়ি। পরিকল্পনাই বা কোথায়! গত ম্যাচে ব্রাদার্সের সঙ্গে ০-০, কাল তো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হেরেই গেল মুক্তিযোদ্ধার কাছে (১-০)।দ্বিতীয় পর্বে প্রথম ৭ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার প্রাপ্তি ছিল মাত্র তিনটি ড্র। একের পর এক হারতে থাকা সেই মুক্তিযোদ্ধাই কাল এই পর্বে পেল প্রথম জয়। ৬১ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার কায়েসকে বক্সে ফেলে দেন আবাহনী ডিফেন্ডার ফাহাদ, পেনাল্টিতে গোল করতে ভুল হয়নি মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়ক এনামুলের।১৭ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ৩১। ওপরে থাকা শেখ রাসেল বা মোহামেডান পয়েন্ট খোয়ালেই রানার্সআপ হতে পারে ঐতিহ্যবাহী দলটি। ১৮ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকা মুক্তিযোদ্ধার সামনে সেই সুযোগও অবশ্য নেই। আবু ইউসুফের দল শেষ কটি ম্যাচ খেলার জন্যই খেলছে। | 156,048 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৭ মার্চ ২০১৪, ০০:০৬ | ১৭ মার্চ ২০১৪, ০০:০৬ | বিনোদন,চলচ্চিত্র | null | দেবাশীষের চার নম্বর ছবি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/170185 | দেবাশীষ বিশ্বাসের প্রথম ছবি শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০১ সালে। এরপর মুক্তি পেয়েছে শুভ বিবাহ (২০০৯) ও ভালোবাসা জিন্দাবাদ (২০১৩)। এর মধ্যে দারুণ সাফল্য পাওয়া ছবিটির নাম শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ। এবার দেবাশীষ তৈরি করছেন তাঁর চার নম্বর চলচ্চিত্র। নাম মন জ্বলে। এরই মধ্যে ছবির অভিনয়শিল্পীদের চূড়ান্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, এই ছবিতে অভিনয় করবেন সায়মন, আঁচল, মিলন, তমা মির্জা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গীতি চিত্রকথা সূত্রে জানা গেছে, ছবিটির শুটিং শুরু হবে জুলাই মাসে।দেবাশীষ জানান, এবার তিনি পুরোপুরি মৌলিক গল্প নিয়ে ছবি তৈরি করবেন। কাহিনি ও সংলাপ লিখেছেন কমল সরকার। চিত্রনাট্য লিখেছেন ও পরিচালনা করবেন দেবাশীষ।একটি বিয়োগান্তক গল্প নিয়ে তৈরি হবে মন জ্বলে। দুটি মেয়ে ভালোবাসে একটি ছেলেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই ভালোবাসার জয় হয়।দেবাশীষ বিশ্বাসের বাবা প্রয়াত চিত্রনির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস। বাবার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন দেবাশীষ। নিজের নতুন ছবি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আগের তিনটি ছবিই ছিল শহরকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে। ওগুলো ছিল কমেডি আর রোমান্টিক-কমেডি ধাঁচের। এবার আমি বিয়োগান্তক গল্প নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। পুরোটাই গ্রামের পটভূমিতে। গ্রামের সহজ, সাধারণ মানুষের জীবন আর তাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা থাকছে এই গল্পে।’ | 58,983 |
মৃণাল সাহা | sports | খেলা | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৩৬ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৪০ | ফুটবল,মেসি | 0 | মেসি ছাড়া বার্সেলোনা চলবে কীভাবে? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1554282 | বার্সেলোনার ৫০০০তম লিগ গোলের পর আবার ৬০০০তম গোলের সঙ্গে নিজের নাম লেখালেন মেসিগোলবারের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছেন লিওনেল মেসি, যে সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার কোনো উপায়ই দেখছেন না তিনি। বলে পা লাগালেই যেন বল উড়ে গিয়ে লাগছে গোলবারে। থামানোর যেন কোনো উপায়ই নেই। গত মৌসুম থেকেই আফসোস চলছেই, অসাধারণ সব শট, অসাধারণ সব চেষ্টা, সবকিছুই যেন গোলপোস্টে লেগেই থেমে যাচ্ছে। এর মাঝেই রেকর্ডের বন্যা বইয়ে যাচ্ছেন মেসি।গত কয়েক বছরে বার্সেলোনা দল যেন পুরোপুরি মেসি কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। মেসিকে ছাড়া বর্তমান বার্সেলোনা দলে নেতৃত্ব দেওয়ার যেমন কেউ নেই, নেই তাঁর মতো খেলোয়াড়ও। কিন্তু এই বছর না, গত দশ বছর ধরেই বার্সেলোনা নির্ভর করে আছে লিওনেল মেসির ওপর।গতকালের আগে লা লিগায় বার্সেলোনার গোলসংখ্যা ছিল ৫৯৯৯। ৬০০০তম গোলের দেখা পাওয়ার জন্য মাত্র এক গোলের দরকার ছিল বার্সেলোনার। অধিনায়ক মেসি যেন সেই দায়িত্বই তুলে নিলেন। ম্যাচের দুই-তৃতীয়াংশ শেষ হওয়ার পর ৬৪তম মিনিটে আর্জেন্টাইন জাদুকরের অসাধারণ ফ্রি কিক। সেখান থেকে বার্সেলোনার ইতিহাসে আরেকবার নাম লেখালেন মেসি। লা লিগায় ক্লাবের ৬০০০তম গোলের সঙ্গে নাম যুক্ত হলো লিওনেল মেসির।বার্সেলোনার পাঁচ হাজারতম গোলের গোলদাতাও ছিলেন মেসি। ২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বার্সেলোনার হয়ে মালাগার বিপক্ষে দ্বিতীয় গোল করে লা লিগায় বার্সেলোনার হয়ে পাঁচ হাজারতম গোল করেন লিওনেল মেসি। তার পর থেকে নয় বছরে বার্সেলোনার সাফল্যের পেছনে মেসির অবদান কত বেশি, তা সবাই দেখছেন।মালাগার বিপক্ষে গোল থেকে আলাভেসের বিপক্ষে গোল, বার্সেলোনায় এর মাঝের এক হাজার গোলে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব লিওনেল মেসিরই। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগায় হওয়া শেষ ১০০০ গোলের মাঝে তার মোট অবদান ৪৫.২ ভাগ। অর্থাৎ সরাসরি ৪৫২ গোলে অবদান রেখেছেন লিওনেল মেসি। এই নয় বছরে মেসি গোল করেছেন ৩৩৬ টি। বার্সেলোনায় অন্য যে কারও থেকে চেয়ে বেশি সেটা না বললেও চলছে। তার পরে রয়েছেন লুইস সুয়ারেজ, ১১০ গোল।গোল বানানোর তালিকাতেও শীর্ষে রয়েছেন মেসি। ১২৬ এসিস্ট করে গোল বানানোতেও শীর্ষে আছেন মেসি। তাঁর পরে আছেন সাবেক দক্ষিণ আমেরিকান সতীর্থ দানি আলভেস (৫৫) এবং সুয়ারেজ (৫৫)।গত দশ বছরে বার্সেলোনার সেরা এক দশক যে মেসির সুবাদে সেটা সবাই স্বীকার করেন। তবু আবারও যেন সেটা স্পষ্ট করে দিল ৬০০০তম গোল। সে সঙ্গে সবার কাছে প্রশ্নও রেখে গেল, বার্সেলোনা দলটা কি পুরোপুরি মেসি নির্ভর হয়ে গেল? | 374,131 |
ভোলা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১১ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১২ | ভোলা,বরিশাল বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা শুরু না হতেই বন্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/324892 | ভোলা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ‘সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা’র প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর গতকাল শুক্রবার সকালে পরীক্ষা শুরু হতে না হতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে বেলা আড়াইটা থেকে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাতে অর্ধেকের কম পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তখন অনেক ছাত্রের আরেকটি পরীক্ষা ছিল বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান।জানতে চাইলে নিয়োগ কমিটির প্রধান মুখ্য বিচারিক হাকিম এম এ রব হাওলাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। পরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাহিদুর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে ওপরের কর্মকর্তা এসে পরীক্ষা বন্ধ করে হাতে নতুন প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নিয়েছেন। এ জন্য সকাল ১০টার পরীক্ষা বেলা আড়াইটায় শুরু হয়েছে।’পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের নিয়োগ কমিটি আটটি সহায়ক কর্মচারী পদে ১৮ জনকে নিয়োগের জন্য গতকাল ১০টায় পরীক্ষার আয়োজন করে। পদগুলো হচ্ছে নৈশপ্রহরী একটি, প্রসেস সার্ভার ১১টি, মালি একটি, এমএলএসএস (মহিলা) একটি, স্টেনোগ্রাফার একটি, সহকারী লাইব্রেরিয়ান একটি, তুলনা সহকারী একটি ও ডেসপাচ সহকারী একটি। এই ১৮টি পদে চাকরির জন্য দুই হাজার ৬৪০ জন আবেদন করেন।পরীক্ষার্থী মাহবুব আলম, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রবিউল ইসলাম, মো. মাকসুদুর রহমানসহ একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, তাঁরা দুই দিন আগে থেকে শুনছেন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। গতকাল পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পর কক্ষ পরিদর্শকেরা পরীক্ষা স্থগিত করে খাতা নিয়ে যান। পরে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে দেখেন, ফটোকপির দোকানে উত্তরসহ প্রশ্ন বিক্রি হচ্ছে। সবার হাতে হাতে সেই প্রশ্ন।সরেজমিনে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীরা সাড়ে ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন। পরে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ ফটক বন্ধ করে দেয়। মুখ্য বিচারিক হাকিম প্রধান ফটকে এসে পরীক্ষার্থীদের শান্ত থেকে দুপুরে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলেন। এ সময় পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।এদিকে বেলা আড়াইটায় পরীক্ষা শুরু হলেও অনেক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। টাউন কমিটি মাধ্যমিক (বাংলা স্কুল) বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছয়টি কক্ষে ৬৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫৭ জন উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল হক মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রের তিন কক্ষে ১২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৩ জন ছিলেন। বাকি কেন্দ্রগুলোতে একই অবস্থা লক্ষ করা গেছে।পরীক্ষার্থীরা আরও জানান, দুপুরের পর অনেকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ডিগ্রি পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল। এ জন্য তাঁরা অন্য দিন নতুন প্রশ্নের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। | 94,817 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জুন ২০১৮, ২২:০০ | ০৭ জুন ২০১৮, ১৩:২৩ | অপরাধ,দুদক | 0 | ঢাকা-চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ৬১ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1504466 | ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুটি বিল অব এন্ট্রিতে প্রায় ৬১ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করেছে শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের (সিভিএ) নিরীক্ষা দল।আজ বুধবার রাজধানীর শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি উদ্ঘাটিত হয় বলে জানিয়েছেন শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের কমিশনার মইনুল খান।সিভিএ জানায়, তাদের একটি দল আজ ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুটি বিল অব এন্ট্রিতে নিরীক্ষা করে প্রায় ৬১ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে।অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা কাস্টম হাউসের বিলটির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাক আমদানিতে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। পণ্যের আমদানিকারক ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজার একটি প্রতিষ্ঠান। এই পণ্য তারা আল আরাফা ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলে ভারত থেকে আমদানি করেন। এগুলোর দাম দেখানো হয়েছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিটি ৮ ডলারের পরিবর্তে ৫ ডলার ৪১ সেন্ট এবং ১২ ডলারের পরিবর্তে ৩ ডলার ৯৬ সেন্টে শুল্কায়ন করা হয়। ফলে পোশাকের এই চালানে সরকারের প্রায় ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।অন্যদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২৮ টন পাইল ফেব্রিকস আমদানি করা হয়। ওই পণ্য আনতে চীন থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলা হয়। নথিতে পণ্যের প্রতি কেজি তিন ডলার হিসেবে শুল্কায়ন করা হয়। অথচ এর নির্ধারিত মূল্য প্রতি কেজি ৪ ডলার ৭৪ সেন্ট। এতে সরকারের ৩৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়। পণ্যের আমদানিকারক চট্টগ্রামের সামাদ সুপার মার্কেটের একটি প্রতিষ্ঠান।দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে সিভিএ। | 366,298 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫০ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫০ | চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | নয় সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/102700 | চট্টগ্রাম নগরের নয়টি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। আজ অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষা। আগামী শনিবার পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।নয়টি সরকারি বিদ্যালয় হচ্ছে: কলেজিয়েট স্কুল, নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আজ দুই পালায় (শিফট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর আসন সীমিত থাকার কারণে কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে শুধু পঞ্চম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র বিতরণ করা হয়। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। এ ছাড়া নবম শ্রেণীর ভর্তির আবেদনপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণীর ভর্তির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। | 36,892 |
সৈয়দ আবুল মকসুদ | opinion | মতামত | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৪ | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৭:৪৬ | মতামত,লেখকের কলাম | null | বঙ্গীয় হলফনামা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/106447 | গণতন্ত্রের সঙ্গে হলফনামার কোনো সম্পর্ক আগে ছিল না। এই শব্দটিই আগে ভোটাররা শোনেননি। কেউ, যদি তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হন, তাঁর সম্পদ ও অর্থকড়ি মাসে কত গুণ বাড়বে তা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা জানার অধিকার কারও নেই। বিশেষ করে গরিব ভোটারদের, যাঁদের দুবেলা ভাত বা রুটি জোটে না, তাঁদের জানার প্রয়োজন কী?মানবেতিহাসের সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রার্থীদের হলফনামার সচিত্র প্রতিবেদন কয়েক দিন যাবৎ কাগজে বেরোচ্ছে। পাঁচ বছরে কারও আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। কারও ১০৭ গুণ। কারও ৬৭ গুণ। কারও বা ৪০ গুণ। কেউ পাঁচ কোটি টাকায় ৭০ একর জমি কিনেছেন। স্ত্রীর নামে শেয়ার আছে এক কোটি ২২ লাখ টাকার। এক কোটি ১৮ লাখ টাকায় দুটি গাড়িও কিনেছেন। পাঁচ বছর আগে ছিল একজনের এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা ও সাড়ে পাঁচ একর জমি। এখন ১৪৬ একর জমি ও পাঁচ কোটি টাকা। প্রার্থীদের ধর্মপত্নীরা পাঁচ বছরে ধনী হয়েছেন গ্রিক ধনকুবের ওনাসিসের স্ত্রী জ্যাকুলিন কেনেডির চেয়ে বেশি। বিল গেটসের সম্পদ প্রতি পাঁচ বছরে কত গুণ বাড়ে তা বলতে পারব না, তবে এ হারে নিশ্চয়ই নয়।কী হয়নি তাঁদের পাঁচটি বছরে? প্রাসাদের মতো বাড়ি, পূর্বাচল প্রভৃতিতে প্লট (নিজের ও স্ত্রীর নামে), বহু ফ্ল্যাট, কৃষিজমি, দোকান, কোম্পানির শেয়ার, ব্যাংকের গচ্ছিত অর্থ জলোচ্ছ্বাসের মতো ফুলে উঠেছে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বহু রকম, কোটি কোটি টাকার গাড়ি, কয়েক কেজি সোনাদানা। কী নয়? গণতন্ত্র সব দেয়।তাঁদের নিজেদের হলফনামার সংবাদ কাগজে পড়ে অনেকে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছেন। এতে বেইজ্জতির কিছু নেই। গৌরবের কথা। হলফনামায় আছে অর্থ-সম্পদের অংশমাত্র। এত বোকা তাঁরা নন। বরং দেশবাসীকে বোকা বানিয়ে দিয়েছেন। খবর পড়ে বিচলিত শাশুড়ি ফোন করেন। হলফনামাওয়ালা বলেন, মা/আম্মা, কিচ্ছু ভাববেন না। এ তো আমার আর আপনার মেয়ের সম্পদের পাঁচ-সাত ভাগের এক ভাগ। বাকি আমার আর আপনার মেয়ের নামে-বেনামে আছে। তা ছাড়া হলফ তো করেছি দেশের ভেতরের সম্পদের। দেশের বাইরে বাড়ি, ফ্ল্যাট, ডলার, ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং যা আছে, তা আলাদা।‘তা বাবা, না হয় আর একটু কমাইয়া দিতা’, শাশুড়ি মায়ের উদ্বেগ যায় না।‘আপনি বুঝবেন না। এটা না দিয়া উপায় ছিল না। ভবিষ্যতে ওই এগারো-টেগারোর মতো যদি কোনো বালা-মুসিবত আসে, এই হলফ কাজে লাগব। দুদক বেকায়দায় ফেলতে পারব না। ওই কাজ সাইরা রাখলাম।’বাংলাদেশি গণতন্ত্র রাষ্ট্রের চার মূলনীতি ও চেতনা বাস্তবায়নের গণতন্ত্র। এ গণতন্ত্র হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র। ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র। সর্বোপরি সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র। ক্ষমতার পাঁচ বছরেই এসএসসি পাস মাননীয় কী করে এত সম্পদ গড়লেন, তা তাঁর প্রতিবেশীদেরও তাজ্জব করেছে। তাঁরা বলেন, ‘একটা সাইকেল কেনার আর্থিক সংগতি ছিল না’ পাঁচ বছর আগে, তিনি ‘এখন রাজার হালে তিনটা গাড়িতে চড়েন।’ সকালে যে গাড়িতে বাজারে যান, দুপুরে পার্টি অফিসে সেটায় যান না। স্ত্রী ওটা নিয়ে যান বাপের বাড়ি। সন্ধ্যায় জেলা সদরে যান অন্য গাড়িতে।অবশ্য মাননীয় নিজে দাবি করেছেন, ‘জেলার ছয় এমপির মধ্যে আমি খুবই ভালো লোক।’ সে কথা তো সত্যজিৎ রায়ের পিতৃদেবই বলে গেছেন: ‘এ দুনিয়ায় সকল ভালো/ আসল ভালো/ নকল ভালো/...কিন্তু সবার চাইতে ভালো পাউরুটি আর ঝোলা গুড়।’ [সুকুমার রায়] ভোটাররা তিনখানা পাজেরোর চেয়ে তিন পিস পাউরুটি আর এক বাটি ঝোলা গুড় দিনের শেষে পেলেই খুশি।এই হলফনামার ঝামেলাটা বাধিয়েছে নাগরিক সমাজ। আগে এসব ছিল না। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আট ধরনের তথ্য হলফনামা আকারে নির্বাচন কমিশনে দেওয়ার নির্দেশ উচ্চতর আদালত থেকে দেওয়া হয়েছে। তথ্যের মধ্যে সার্টিফিকেটসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা, কত মামলার খুনখারাবির আসামি, পেশা, আয়ের উৎস প্রভৃতি। এই তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি সরকার চায়নি। প্রধান দল দুটি করেছে তীব্র বিরোধিতা। নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য দেওয়ার বিধান চালু করতে অন্যান্য ব্যক্তি ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার কোর্টের বারান্দায় দৌড়াদৌড়ি করে জুতার সুকতলি ক্ষয় করেছেন।শেষ পর্যন্ত ড. কামাল হোসেন দৃঢ় অবস্থান না নিলে হলফনামা বাংলাদেশে চালু হতো না। ভোটাররাও জানতেন না তাঁদের নেতারা রকফেলার, ফোর্ড, টাটা, বিড়লা বা বিল গেটসের চেয়ে কম প্রতিভাবান নন। ২০০৫ সালে সুনামগঞ্জের এক উপনির্বাচনে প্রথম হলফনামা দাখিল করা হয়। সে এক বিরাট কাহিনি।প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য যাতে মিডিয়ায় প্রকাশিত না হয়, তার জন্য নানা ফন্দি আমাদের পরিপূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এঁটেছিল। কিন্তু সম্প্রতি তথ্য অধিকার কমিশন গণমাধ্যমকে তথ্য দিতে তাদের কড়া নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ তো আছেই। তবে আলামত যা দেখছি তাতে হলফনামার তথ্য যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য ‘হলফনামা প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে উঠতে দেরি নেই। হবে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন। নীল পতাকা মিছিল। গণ-অনশন পর্যন্ত। আমাদের অতি নিরপেক্ষ দুদক কর্মকর্তারাও প্রার্থীদের সম্পদের উৎস সন্ধানে আগ্রহী নন। তাতে নাকি অপূর্ব নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের ওপর সরকারি নেতারা নাখোশ। টক শোর ওপর মহা ক্ষিপ্ত। পুরোনোদের বাদ দিয়ে নতুন নতুন চেতনাপন্থীদের ঢোকানোর সুপারিশ হচ্ছে। যদিও আমরা হলফনামা থেকেই দেখতে পাচ্ছি অনেক মহাজোট নেতার টক শো থেকেও আয়টা কম নয়।এভাবে পাহাড়, ফসলি জমি, বনভূমি— দেশের সব সম্পদ হলফনামাওয়ালাদের হাতে চলে যেতে থাকলে আর মাত্র দুটি নির্বাচনের প্রয়োজন হবে। এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুধু বাংলা ভাষাটা বাঙালির মুখে থাকবে, তার পায়ের তলায় পলিমাটির বাংলাদেশটা থাকবে না। একাত্তরের শহীদ ও জনগণের ভাগ্যের কী সুন্দর পরিহাস— স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে সম্পদের চেতনা।দেশে দেশে উগ্র মাওবাদী আন্দোলন অকারণে হচ্ছে না।সৈয়দ আবুল মকসুুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। | 38,310 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ১৩ জুলাই ২০১৬, ০০:৫৭ | ১৩ জুলাই ২০১৬, ০১:০৪ | সম্পর্ক,অধুনা | 0 | মা-ছেলে দুজনের পছন্দ কুমার বিশ্বজিতের গান | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/912352 | যন্ত্রসংগীতশিল্পী মিঠুন চক্রবর্তী। দেশ-বিদেশের অনেক খ্যাতনামা শিল্পীর সঙ্গে বাজিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে গান গাইতেও দেখা গেছে। তাঁর মা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের জনপ্রিয় শিল্পী কল্যাণী ঘোষ। আজ দুই প্রজন্মে থাকছে এই মা-ছেলের পছন্দ-অপছন্দের কথা।১. যাঁর গান শুনতে ভালো লাগে?মিঠুন চক্রবর্তী: দেশ-বিদেশের অনেক শিল্পীর গান শুনতে হয়। দেশের মধ্যে প্রিয় শিল্পীরা হলেন কুমার বিশ্বজিৎ, জেমস, অর্ণব ও হাবিব। দেশের বাইরে মেহেদী হাসান, নুসরাত ফতেহ আলী খান ও সনু নিগমের গান বেশি শোনা হয়।কল্যাণী ঘোষ: ছেলে ইদানীং গান গাইছে। তার গান ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে কুমার বিশ্বজিতের গান। দেশের বাইরে প্রিয় লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।২. পছন্দের গান?মিঠুন চক্রবর্তী: এখনকার গানের মধ্যে ‘হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ’ গানটি গুনগুন করে সব সময়ই গাই।কল্যাণী ঘোষ: মাকে নিয়ে করা কুমার বিশ্বজিতের ‘একটা চাঁদ ছাড়া রাত আঁধার কালো’ গানটি আমার ভীষণ পছন্দ।৩. পছন্দের সিনেমা?মিঠুন চক্রবর্তী: পদ্মা নদীর মাঝি। যত দূর মনে পড়ছে, পাঁচ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে সিনেমা হলে বসে এই ছবিটি দেখেছি।কল্যাণী ঘোষ: যে আগুনে পুড়ি, সুতরাং, আগন্তুক, নীল আকাশের নিচে ও পদ্মা নদীর মাঝি। এই ছবিগুলো বারবার দেখা হয়।৪. যেখানে ঘুরতে ভালো লাগে?মিঠুন চক্রবর্তী: কলকাতা আর লন্ডন। এই দুটি জায়গার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতিও রয়েছে। দেশের মধ্যে কক্সবাজার খুব ভালো লাগে।কল্যাণী ঘোষ: আমি তো চট্টগ্রামের মানুষ। বাড়ির পাশে ফয়’স লেকে ঘুরতে বেশি ভালো লাগে।৫. পাহাড় না সমুদ্র—কোনটি বেশি পছন্দ?মিঠুন চক্রবর্তী: আমাকে পাহাড় বেশি টানে।কল্যাণী ঘোষ: সমুদ্রে আমার ভীষণ ভয়। পাহাড় দারুণ পছন্দ।৬. প্রিয় খাবার?মিঠুন চক্রবর্তী: বিরিয়ানি, সাদা ভাত ও শুঁটকি। মা সবচেয়ে ভালো রান্না করেন চিংড়ি ও লইট্টা মাছ।কল্যাণী ঘোষ: সাদা ভাত, শুঁটকি ও ইলিশ।৭. প্রিয় পোশাক?মিঠুন চক্রবর্তী: প্রায়ই আমার পায়জামা ও পাঞ্জাবি পরা হয়। আমার কাছে খুব আরামদায়ক পোশাক মনে হয় এই দুটিকে। মাঝেমধ্যে অবশ্য জিনস আর টি-শার্টও পরি।কল্যাণী ঘোষ: শাড়ি পরতে বেশি ভালো লাগে। টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি পছন্দ।৮. প্রিয় রং?মিঠুন চক্রবর্তী: নীল রঙের প্রতি আমি বেশি দুর্বল।কল্যাণী ঘোষ: আমারও পছন্দের রং নীল।৯. দিনের মধ্যে কোন সময়টা বেশি ভালো লাগে?মিঠুন চক্রবর্তী: ভোর হওয়াটা দেখতে ভালো। কারণ, গানের কাজ করতে করতে আমার প্রায় সময়ই ভোর হয়ে যায়।কল্যাণী ঘোষ: পড়ন্ত বিকেল আমার বেশি পছন্দ।১০. সংবাদপত্রে যা পড়তে ভালো লাগে?মিঠুন চক্রবর্তী: প্রকাশের পর থেকেই প্রথম আলো পড়ছি। আগে পড়া হয় বিদেশের খবর। বিনোদন আর খেলার খবরও পড়তে ভালো লাগে।কল্যাণী ঘোষ: আমাদের বাসায় প্রথম আলো রাখি। এটি আমার পরিবারের সবারই প্রিয় পত্রিকা। এই পত্রিকায় বিনোদন পাতা বেশি পড়ি। ‘আমার চট্টগ্রাম’ তো খুবই ভালো লাগে।সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের | 239,683 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৬, ২৩:০৪ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৬, ২৩:০৮ | -1 | null | পুলিশের লাঠির আঘাতে ‘সামান্য আহত’ বিকাশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/741700 | থামার সংকেত অমান্য করে পালানোর চেষ্টার সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে রাস্তায় পড়ে বিকাশ চন্দ্র দাস ‘সামান্য আহত’ হয়েছেন বলে ডিএমপির এক অফিস আদেশে এ কথা বলা হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা বলা হয়।বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারক করতে বেরিয়ে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস। এক জায়গায় তদারক শেষে মীর হাজিরবাগ খাল-সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন লোক তাঁকে থামতে বলেন। বিকাশ তাঁদের ছিনতাইকারী ভেবে মোটরসাইকেল ঘোরানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁরা বিকাশকে তাড়া করেন। বিকাশ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে লোকগুলো বিকাশকে ধাওয়া করে ধরে মারধর শুরু করেন। পরে জানা যায়, এঁরা সাদাপোশাকের পুলিশ। এ সময় আশপাশে কর্মরত সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দৌড়ে এসে বিকাশকে তাঁদের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সামনেই তাঁরা বিকাশকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে পেটান এবং বুট দিয়ে পা থেঁতলে দেন। একপর্যায়ে আহত বিকাশকে পুলিশি ভ্যানে তোলা হয়। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পুলিশের ভ্যানটিকে ঘেরাও করেন। পরে পুলিশ বিকাশকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।বিকাশ চন্দ্র দাস রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন।আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত ডিএমপির ওই অফিস আদেশে বলা হয়, ‘যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে ছিনতাই প্রতিরোধ দল টহল দিচ্ছিল। ওই দিন ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে একটি মোটরসাইকেল ওই এলাকা দিয়ে একাধিকবার যাতায়াত করলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ সদস্যরা থামার সংকেত দিলে আরোহী সংকেত অমান্য করে রাস্তায় মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে ধাওয়া করে এবং গতিরোধের জন্য পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি রাস্তায় পড়ে সামান্য আহত হন।’ওই ঘটনায় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও ডিএমপির ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে।এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় দুটি নির্যাতনের ঘটনা ঘটল। | 192,681 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪৯ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫০ | সরকার | null | নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে: সিইসি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/724051 | নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই’ ভালো আছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে নির্বাচন কমিশনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সিইসি বলেন, ‘পরিবেশ যে ভালো আছে তা আপনারা (গণমাধ্যম) তো দেখাচ্ছেন। তবে বেশ কিছু জায়গায় মারপিট হয়েছে। বেশ কিছু প্রার্থী আহত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় ভালো পরিবেশ বিরাজ করছে।’ যেসব এলাকার পরিবেশ ভালো, সেসব এলাকাকে অন্যদের ‘ফলো’ করার আহ্বান জানান তিনি।নির্বাচনের পরিবেশের আরও উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। পর্যাপ্ত বিজিবি, র্যা ব মোতায়েন করা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার আগে সিইসি কমিশনার ও অন্যান্যের সঙ্গে বৈঠক করেন।এদিকে বিকেলে সিইসির সঙ্গে দেখা করার পর বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে, গত এক সপ্তাহে পৌরসভা নির্বাচনের পরিবেশের চরম অবনতি হয়েছে। বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।রাতে কমিশন থেকে বাড়ি ফেরার আগে সিইসির কাছে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওসি, রিটার্নিং কর্মকর্তা বদল করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিস্থিতি উন্নয়নে চেষ্টা করছেন। যাঁরা আইন ভঙ্গ করছেন, তাঁরা দেখছেন, এতে করে লাভ হচ্ছে না।সিইসি বলেন, কেউ নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করলে কোর্টে যাওয়ার সুযোগ আছে। | 187,194 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২৬ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৩ | ২৬ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৭ | খবর,প্রতিষ্ঠানের খবর | 0 | আড়ংয়ের ‘শপ অ্যান্ড উইন’ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/840997 | ‘মা দিবস’ সামনে রেখে গত শুক্রবার থেকে ‘শপ অ্যান্ড উইন’ নামে একটি বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু করেছে আড়ং। ক্রেতাদের মধ্যে যিনি মায়ের কাছে সবচেয়ে সুন্দর বার্তাটি লিখবেন, তিনি পাবেন কক্সবাজারের মারমেইড বিচ রিসোর্টে তিন দিন দুই রাত ভ্রমণের সুযোগ। প্রচারাভিযানে অংশ নিতে ক্রেতাকে আগামী ৮ মে মা দিবসের আগে আড়ংডটকম থেকে যেকোনো পণ্য অর্ডার করতে হবে। অর্ডার নিশ্চিত করার সময় ক্রেতারা তাঁদের মাকে বিশেষ বার্তাটি লেখার সুযোগ পাবেন। প্রচারাভিযান শেষে আড়ংডটকম ও ফেসবুকডটকম/ব্র্যাকডটআড়ং-এ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। বিজ্ঞপ্তি। | 223,883 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৬ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৭ | সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | পাল্লা দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুই ছাত্র নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/153625 | পাল্লা দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই ছাত্র। গত শুক্রবার রাতে পাবনা-ঢাকা সড়কের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার দাবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও এক ছাত্র আহত হন। দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।নিহত ছাত্ররা হলেন ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনিক আহমেদ (২২), শাহজাদপুর উপজেলার চরকাদই গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে ও উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের ছাত্র আকাশ হোসেন (২১)। আহত ছাত্রের নাম মোমেন উদ্দীন (২৩)।তাঁর বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলায় ও তিনি আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শাহজাদপুরে বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে এসে তাঁরা দুর্ঘটনার শিকার হন।পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বাঘাবাড়ী বন্দর এলাকা থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১৫ জন বন্ধু পাল্লা দিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা শহরের দিকে আসছিলেন। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন অনিক, আকাশ ও মোমেন উদ্দীন। পাবনা-ঢাকা সড়কের দাবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা থেকে পাবনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই অনিক ও আকাশ মারা যান। অপর আরোহী মোমেন উদ্দীন বাইরে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশ এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ফরিদ জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতেই ওই দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। | 53,552 |
-1 | opinion | মতামত | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২৯ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩০ | মতামত,সম্পাদকীয়: | 0 | সদ্যোজাত শিশুর ওজন | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1091047 | একটি মানবশিশু জন্ম নেওয়ার সময় যতটা দৈহিক ওজনের অধিকারী হলে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার চেয়ে অনেক কম ওজন নিয়ে জন্ম হয় অনেক শিশুর। দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার (২০১৬-২০২৫) খসড়া দলিলে বলা হয়েছে, প্রয়োজনের চেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুর হার এখন ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় এক-চতুর্থাংশ সদ্যোজাত শিশু বড় রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীতে যুক্ত হচ্ছে। আমরা যখন সার্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি-পরিস্থিতি আরও উন্নত করার প্রয়াস চালাচ্ছি, তখন এই চিত্রটি হতাশাব্যঞ্জক।সদ্যোজাত শিশুর দৈহিক ওজন অনেকাংশে নির্ভর করে তার মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর। কোনো মা নিজেই যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন, তারপর পর্যাপ্ত পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে খর্বাকৃতি নিয়ে বেড়ে ওঠেন, তাহলে তিনি নিজে যখন মা হবেন, তখন তাঁর শিশুরও ওজন ও উচ্চতা দুটোই কম হয়ে থাকে। গর্ভবতী নারীর গর্ভকালীন পুরো সময় পর্যাপ্ত পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা, শারীরিক ও মানসিক সেবা-শুশ্রূষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এসবের সঙ্গে গর্ভবতী নারীর পরিবারের আর্থিক আর্থসামাজিক অবস্থার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের পরিবারগুলো সাধারণত গ্রামীণ ও শহুরে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র, যেখানে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব এক চিরকালীন সমস্যা। কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে অনেকেরই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন ও উচ্চতা স্বাভাবিকভাবে বাড়ে না; বরং দুঃখের কথা, সদ্যোজাত শিশুর তুলনায় পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের হার বেশি, ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ জন্মের পরেও তারা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। পাঁচ বছরের কম বয়সীদের ৩৬ শতাংশের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম, আর ১৪ শতাংশ কৃশকায়।যদিও সারা দেশেই পুষ্টি-পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, তবু এখনো বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষ অপুষ্টই রয়ে গেছে, বিশেষত নারী ও শিশুরা। দারিদ্র্য দূর করার সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার সব শ্রেণির মানুষের জন্য নিশ্চিত করা কঠিন বটে, কিন্তু তা যত দিন করা না যাচ্ছে, তত দিন অপুষ্ট শিশুর জন্ম ঠেকানো সম্ভব নয়। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও মানব উন্নয়ন সূচকগুলোর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক, কিন্তু এতেই তৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। কেননা, এখনো বিপুল জনগোষ্ঠীর মধ্যে দারিদ্র্য ও অপুষ্টি প্রকটভাবে রয়ে গেছে। | 297,735 |
প্রতিনিধি, মাদারীপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জুন ২০১৮, ০৩:২৮ | ১৫ জুন ২০১৮, ০৩:২৯ | সরকার | null | লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠলে ব্যবস্থা: নৌমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1510306 | নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, এবারের ঈদ-উল-ফিতরে যাত্রী সেবা নিশ্চিত ও যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। যেকোনো বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঈদ হওয়ায় বিশেষ সতর্কতা নিয়ে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভয়েস সার্টিফিকেট ছাড়া অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ছাড়া লঞ্চ চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেই দায়ভার গ্রহণ করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শাজাহান খান বলেন, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা যাতায়াত করায় উভয় রুটে ৪ থেকে ৫টি নতুন ফেরি সংযোজন করা হয়েছে। এ সকল ফেরি ঈদের আগেই মেরামত করা হয়েছে। যা বর্তমানে চলাচল করছে। এতে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হবে না। পরিবহন ও যাত্রীরা ঘাটে কোনো প্রকার অপেক্ষা ছাড়াই ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে পারবে। পদ্মা নদীর মাঝে পলি পড়ে নৌ চলাচল ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী আরও জানান, ড্রেজিং-এর মাধ্যমে পলি অপসারণ করে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের চাপ বেশি পড়লে ফেরির চালকদের বিকল্প পথে যাতায়াত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। | 367,438 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২০:৩৮ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২০:৫৩ | নির্বাচন | 0 | সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা: শাহ নেওয়াজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/149515 | নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে। আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শাহ নেওয়াজ।কাল বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দেশের ৯৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।শাহ নেওয়াজ বলেন, যাঁরা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন তাঁদের কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিশন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য পেয়েছে, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি খুব ভালো। সহিংসতার কোনো আশঙ্কা নেই। আশা করা যাচ্ছে, সুন্দর নির্বাচন হবে। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর অভিযোগফেনীর পরশুরাম উপজেলার নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেব অভিযোগ করেছেন, ২ ফেব্রুয়ারি সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় তিনি ও তাঁর বেশ কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিত্সা নিচ্ছেন। অন্য আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।আবু তালেব আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।লিখিত আবেদনে আবু তালেব বলেন, ঘটনার দিন তাঁর ওপর দুই দফায় আক্রমণ চালানো হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।এ বিষয়ে কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে সরাসরি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দাখিলের আইনগত কোনো বিধান নেই। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জমা দিতে হবে। | 51,877 |
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ জুলাই ২০১৪, ০০:৪৫ | ০৯ জুলাই ২০১৪, ০০:৪৬ | শেরপুর,বিশাল বাংলা,অপরাধ,ঢাকা বিভাগ | 0 | নালিতাবাড়ীতে ঝুলে গেছে আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/262438 | শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় আনন্দ স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আদায় ও কেন্দ্র স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর এ কারণে উপজেলায় এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করার বিষয়টি ঝুলে গেছে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্প হিসেবে রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম চলতি বছরের মে থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। দারিদ্র্যসহ নানা বৈষম্যের কারণে উপজেলার ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ১২২টি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব কেন্দ্রের শিক্ষক নিয়োগের জন্য চলতি বছরের মার্চে প্রথম ধাপে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৭০টি কেন্দ্রের জন্য একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এপ্রিলে দ্বিতীয় ধাপে ৫২টি কেন্দ্রের জন্য শিক্ষক নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।প্রথম ধাপে নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রফিক অর্থের বিনিময়ে দ্বিতীয় ধাপে ৫২ জন শিক্ষককে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বেতন তোলার জন্য প্রত্যেক শিক্ষককে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে হয়। কিন্তু এ প্রকল্পের সহায়তাকারী বেসরকারি সংগঠনের কর্মকর্তার মাধ্যমে ১০ টাকার স্থলে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে গত ২৭ মে অভিযোগ পেয়ে ইউএনও মাহবুবা আইরিন ব্যাংক হিসাব খোলার কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।প্রথম ধাপে নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আনন্দ স্কুলের প্রতিটি কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্র এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব কমপক্ষে এক কিলোমিটার হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র স্থাপনে এ নিয়ম মানা হয়নি। তাঁরা অভিযোগ করেন, শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত শিক্ষকদের কাছ থেকে ‘প্রধান কার্যালয়’র নাম ভাঙিয়ে বেসরকারি সংস্থার ‘এসো নতুন সমাজ গড়ি’র মাঠকর্মী কমিউনিটি মোবিলাইজার (সিএম) উবায়দুল ইসলাম, মাহবুর রহমান ও পশ্চিম কলসপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কিবরিয়ার মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও শিক্ষার্থীদের ছবি তোলার নামে কেন্দ্রপ্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন।এসো নতুন সমাজ গড়ির সিএম মাহবুর রহমান, উবায়দুল ইসলাম ও পশ্চিম কলসপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কিবরিয়া টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রফিক বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ছবি তোলার ব্যাপারে টাকা নেওয়া হয়েছে, বরাদ্দ পেলেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। নিয়োগ দেওয়ার বিনিময়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। এটা সংশ্লিষ্ট এনজিওর কাজ, তারা ভালো বলতে পারবে।’ | 76,268 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০১ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০১ | বাণিজ্য,শেয়ারবাজার | 0 | আইনি দুর্বলতায় ব্যবস্থা নিতে পারে না স্টক এক্সচেঞ্জ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/320569 | প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক হওয়ার পরও আইনি দুর্বলতায় শেয়ারবাজারের অনেক অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না স্টক এক্সচেঞ্জ। আবার যেসব ক্ষেত্রে আইনগত সুযোগ রয়েছে, সেখানে তদারকি ও প্রায়োগিক দুর্বলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ সাজিদ হোসেন।নিয়মিত মাসিক সংবাদ সম্মেলনের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে সিএসইর ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মতামত তুলে ধরা হয়।সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদন পেয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর সেসব কোম্পানি এরই মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তও হয়েছে।তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পরও সেসব কোম্পানি কীভাবে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেল এবং এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জ যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে কি? এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিএসইর এমডি বলেন, ‘কোনো কোম্পানি অনিয়ম করলে তাকে শাস্তি দেওয়ার আইনগত কোনো ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের নেই। তা ছাড়া আইপিওর বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের মতামত প্রদানের ক্ষেত্রেও আইনগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’এ প্রসঙ্গে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘সমস্যার উৎপত্তি যেখানে, সেখানেই শাস্তির বিধান করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যদি মিথ্যা তথ্য দেয়, সেটি বুঝতে পারলেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের নেই। এ কারণে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।’অবশ্য সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইটে কোম্পানিসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা ও নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইট হালনাগাদের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। এসব বিষয়ে তদারকির আইনি ক্ষমতা রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের। সেই ক্ষমতার ব্যবহার স্টক এক্সচেঞ্জ করেছে কি না, জানতে চাইলে সিএসইর এমডি বলেন, ‘আইনগত ক্ষমতা থাকলেও এ বিষয়টি তদারকির ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দুর্বলতা রয়েছে। এ বিষয়ে যতটা গুরুত্ব দেওয়া দরকার, যেকোনো কারণেই হোক, সেটি হয়নি।’ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে অনিয়ম রোধে স্টক এক্সচেঞ্জের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ‘আইনি সীমাবদ্ধতা’র কথা তুলে ধরেন সিএসইর এমডি। এদিকে শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থাকে স্থিতিশীল বলে দাবি করেছে সিএসই কর্তৃপক্ষ। বাজার স্থিতিশীল হলেও নিজেদের এক্সচেঞ্জের লেনদেন নিয়ে হতাশ সংস্থাটি। সিএসই কর্তৃপক্ষের মতে, ‘এ মুহূর্তে বাজার অনেকটা স্থিতিশীল। ২০১০ সালের ধসের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, ধীরে ধীরে সেটি কমে আসছে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের স্টক এক্সচেঞ্জে আশানুরূপ লেনদেন হচ্ছে না।’সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি মাস থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে শেয়ারের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও আবেদন জমা নেওয়ার কাজ শুরু হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর হামিদ ফেব্রিক্স নামের একটি কোম্পানির আইপিওর মাধ্যমে পরীক্ষামূলক এ কাজটি শুরু হবে। | 93,860 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৫৫ | ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৫৫ | রাজনীতি,খবর | 0 | এক–এগারোর সরকারের কাজের তদন্ত চান মওদুদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1064779 | অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ২০০৭ সালে ‘ওয়ান-ইলেভেনে’ গঠিত সরকারের কর্মকাণ্ড তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন। জরুরী আইনের সরকারের দুই বছর (২০০৭-২০০৮) শীর্ষক বইটি লিখেছেন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রায় সব বক্তাই ওই সময়কার সরকারকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেন।মওদুদ আহমদ বলেন, দুই বছরে দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে গেছে ওই সময়ের সেনা-সমর্থিত সরকার। জরুরি আইনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, সেই সরকার ছিল অবৈধ ও অসাংবিধানিক। ওই সরকার ছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ‘ওই সময়কার কর্মকাণ্ড অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানাচ্ছি। নাহয় আমরা ক্ষমতায় গেলে এটা করা হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে।’বইটির লেখক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ওই সময়কার সরকার প্রথমে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ করেছিল, পরে সেখান থেকে তারা ‘ম্যানেজ টু ফর্মুলা’ শুরু করে। কিন্তু ম্যানেজ টু হলো না, হলো ম্যানেজ ওয়ান। যার খেসারত এখন জাতি দিচ্ছে। এ সময় তিনি বইয়ের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, এক-এগারো সরকার আকস্মিক ছিল না, এটা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির নেতা এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ। | 285,717 |
আনোয়ারা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৩৪ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৩৪ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | আনোয়ারার কোনো বিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলা শিক্ষক নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/332068 | আনোয়ারার ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনটিতে চারু ও কারুকলা বিষয়ের শিক্ষক নেই। এতে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা চারুকলা বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ হতে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে ৫০ নম্বরের এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে ১০০ নম্বরের চারু ও কারুকলা বিষয় আবশ্যিক হিসাবে অন্তভূর্ক্ত করা হয়েছে। উপজেলার কোনো বিদ্যালয়ে এ বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর থেকে জেএসসি পরীক্ষার্থীরা ৫০ নম্বরের চারু ও কারুকলা বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছে। ২০১৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত থাকছে। ফলে আবশ্যিক এ বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকেরা।জানা গেছে, বিষয়টি আগে অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের সঙ্গে অন্র্তভূক্ত ছিল। গত বছর থেকে এ বিষয়ে আলাদা করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ফলে আলাদা শিক্ষক না থাকায় বিষয়টি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তা ছাড়া উত্তরপত্র মূল্যায়ন নিয়েও শিক্ষকেরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। বিষয়টির ৩৫ নম্বরের রচনামূলক অংশে চিত্র আঁকা, নকশা করা ও রং করার কাজ আছে।বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে চারু ও কারুকলা বিষয়টির ওপর জেএসসি মডেল টেস্ট শুরু হলেও উত্তরপত্র মূল্যায়ন কীভাবে করা হবে তা ঠিক হয়নি।জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণী বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এ নিয়ে আমরা বিড়ম্বনায় আছি।’ আনোয়ারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাঈনুদ্দিন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলার ২৪টি বিদ্যালয়ের কোনটিতে চারু ও কারুকলার বিষয়ে শিক্ষক নেই। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডের পরামর্শ নিয়েই আমরা কাজ করছি।’ | 97,159 |
দিনাজপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:০৫ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:০৬ | দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ওকড়াবাড়ী পরিদর্শন করলেন হুইপ ইকবালুর রহিম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/148162 | জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন চিরিরবন্দর উপজেলার ওকড়াবাড়ী হাটে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া সংখ্যালঘু দোকান মালিকদের পুনর্বাসন করা হবে।গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে হাটে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ও এলাকাবাসীকে তিনি ওই আশ্বাস দেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় ক্ষতিগ্রস্তরা হুইপের কাছে অভিযোগ করেন, ভোট দিতে যাওয়ার অপরাধে ৫ জানুয়ারি বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন ওকড়াবাড়ী হাটে হিন্দুদের ৪৭টি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পাঁচটি দোকান এবং হাটসংলগ্ন খোসনা এসসি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে আগুন ধরিয়ে দেয়।ভুক্তভোগী ওকড়াবাড়ী হাটের দোকান মালিক ধনঞ্জয় রায় হুইপকে বলেন, টাকার অভাবে ক্ষতিগ্রস্তরা আজও তাঁদের দোকান চালু করতে পারেননি।ক্ষতিগ্রস্তদের কথা শুনে হুইপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা এবং ক্ষতির লিখিত বিবরণ তাঁর কাছে জমা দিতে বলেন। ওই ঘটনায় নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা রেকর্ড না হওয়ায় পুলিশের গাফিলতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। | 51,764 |
এএফপি | international | আন্তর্জাতিক | ২২ মে ২০১৬, ০১:৫৯ | ২২ মে ২০১৬, ০২:০০ | ইউরোপ | 0 | ক্ষতিপূরণ চেয়ে পুতিনের বিরুদ্ধে মামলা | http://www.prothom-alo.com/international/article/865930 | মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএই-১৭ ইউক্রেনে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহত কয়েকজনের পরিবার। ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করা হয়েছে ইউরোপের মানবাধিকার আদালতে।সিডনিভিত্তিক আইন প্রতিষ্ঠান এলএইচডির আইনজীবীদের মাধ্যমে ৯ মে আদালতে অভিযোগটি করা হয়। ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার ৩৩ যাত্রীর পক্ষে তাঁদের স্বজনেরা মামলাটি করেছেন। বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে এবং এর পেছনে রাশিয়ার হাত ছিল বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে পরিবারপ্রতি এক কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার করে দাবি করা হয়েছে।২০১৪ সালের ১৭ জুলাই বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী ফ্লাইট এমএইচ-১৭। রুশ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ভূপাতিত হয় বলে গত বছর এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানায় ডাচ সেফটি বোর্ড। এ ঘটনায় ওই বিমানের ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। | 225,307 |
সিলেট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মার্চ ২০১৫, ০১:০২ | ১৮ মার্চ ২০১৫, ০১:০৬ | মহানগর,সিলেট,সিলেট বিভাগ | 0 | পাঁচ বছরেও সংস্কার হয়নি ছাত্রাবাস | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/479758 | পাঁচ বছর আগে রাজনৈতিক সহিংসতায় বন্ধ হয়ে যায় সিলেট সরকারি কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাসটি। এটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার ও চালু না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। তাঁরা আবাসন সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম নিয়েও সমস্যায় ভুগছেন।১৯৬৪ সালে নগরের টিলাগড় এলাকায় সিলেট সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।২০১০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘শিবির খেদাও’ নামে ছাত্রাবাসটি দখলে নিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান এবং অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এটি বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রাবাসে ৫২টি কক্ষ ছিল। তাতে প্রায় তিন শ ছাত্র থাকতেন।ভুক্তভোগী কয়েকজন ছাত্রের অভিযোগ, ছাত্রাবাসের অভাবে তাঁরা বাইরে মেসে থাকছেন। এতে অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষার পরিবেশের অভাবেও ভুগছেন। আবার অনেক বাড়ির মালিক ব্যাচেলরদের কাছে বাসা ভাড়া দিতে চান না। ফলে দূরদূরান্তের অনেকেই নিয়মিত ক্লাসে আসতে পারছেন না।কলেজের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রাবাসটি বন্ধ ঘোষণার পর এটি সংস্কারের আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে ২০১০-১১ অর্থবছরে ছাত্রাবাসটি সংস্কারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পাঁচ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের বাধার কারণে সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি। পরে প্রকল্পের টাকা দিয়ে কলেজের শ্রেণিকক্ষ সংস্কার করা হয়।এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ আশফাক আহমদ বলেন, ছাত্রাবাস না থাকায় ছাত্রদের খুব ভোগান্তি হচ্ছে, এটা সত্যি। এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে শিক্ষা প্রকৌশল ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। | 124,065 |
মাশফি রহমান | entertainment | বিনোদন | ২৪ জুলাই ২০১৪, ০০:০৫ | ২৪ জুলাই ২০১৪, ০২:২৪ | আনন্দ,ঢালিউড | 0 | তিনিই বাবা তিনিই মা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/275725 | একসময়ের চিত্রনায়িকা দোয়েলের মেয়ে দীঘি। দোয়েলের মৃত্যুর পর আরেক চিত্র তারকা সুব্রতই দীঘির সব—তিনিই বাবা, তিনিই মাসেই ছোট্ট দিঘির কথা কি আপনাদের মনে আছে? চিত্রনায়িকা দোয়েলের মেয়ে? বাবা সুব্রতকেও কি অচেনা লাগছে? নিশ্চয় না। দোয়েল মারা যাওয়ার পর দিঘির বাবা, মা দুটোই এখন সুব্রত।অনেক ছলাকলা করে দিঘির মান ভাঙান সুব্রত। বাবা ডাকতে গেলেই কখনো ‘আর ১০ মিনিট’, কখনো ‘আর পাঁচ মিনিট’, কখনো বা ‘দুই মিনিট’-এর আবদার করে বসে দিঘি। ঘুম ভেঙে এভাবেই দিন শুরু হয় দিঘির। বাবার সঙ্গে। ছোট ছোট এই কাজের সময় মায়ের না থাকা এখন খুব একটা কষ্ট দেয় না তাকে। কারণ, সুব্রতই বেশ সামলে নিয়েছেন বাবা ও মা—দুজনের দায়িত্বই। তবু যখন হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায় মায়ের কথা, তখন দিঘি যেন নিজের ভেতরই দোয়েলকে আবিষ্কার করতে পারেন। নিজের ভেতর মাকে ধারণের এ বিষয়গুলো সুব্রত স্পষ্ট বুঝতে পারেন। বুঝতে পারেন, দিঘি ঠিক দোয়েলের মতোই হয়ে উঠছে।বাবার কাছে ময়না পাখির গল্প বলা ছোট্ট দিঘি, এখন সত্যিই নিজের সব গল্প বাবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়। দিঘি এখন পড়ছে পঞ্চম শ্রেণিতে। অনেক চাপ পড়াশোনার, অনেক ব্যস্ততা। কিন্তু এত ব্যস্ততার মধ্যেও বেড়ে ওঠার এই সময়টাতে একান্ত কিছু কথা বলার জন্য পাশে প্রয়োজন হয় সবচেয়ে কাছের কিছু মানুষের। দিঘির আশপাশে অনেকেই আছে তার কথা শোনার জন্য। কিন্তু সবচেয়ে কাছের যে জন, ‘মা’—তিনিই পাশে নেই।মা বলে গেছেন, দিঘিকে হতে হবে অনেক বড় ডাক্তার। সে কথা রাখতেই এখন মন খারাপের সময় নেই তার। সময় নেই বাবা সুব্রতরও। ‘মেয়েকে ডাক্তার বানাতে হবে’—স্ত্রীকে দেওয়া সেই কথা রাখতেই নিজের সবটুকু তিনি ঢেলে দিচ্ছেন সন্তানের জন্য। সকালে মেয়েকে ঘুম থেকে ওঠানো থেকে শুরু করে, রাতে মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া—প্রতিটি কাজই সুব্রত করেন একনিষ্ঠভাবে।সুব্রত বলেন, ‘প্রতিদিনকার কাজগুলো সামলে নিয়েছি। কিন্তু উৎসবের সময় এলে দোয়েলের শূন্যতা অনেক বেশি অনুভব করি। এই যেমন ঈদের সময়। দোয়েলই আমাকে প্রথম ঈদ করতে শিখিয়েছিল। ঈদের খাবার, ঈদের আনন্দ, কেনাকাটা—এসব আগে কিছুই বুঝতাম না। দোয়েল এসব আমাকে বুঝিয়েছিল। আমি আগে শপিং একদম করতাম না। এটা ছিল দোয়েলের কাজ। কিন্তু এখন ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমাকেই কেনাকাটা করতে হয়। তাদের শেখাতে হয় উৎসবের খুঁটিনাটিগুলো।’দিঘি একাই শিখে নিচ্ছে মায়ের সাজগোজের সব কৌশল। সুব্রত নাকি অবাক হয়ে দেখেন, যখন দিঘি নিজেকে তৈরি করে, অবচেতনভাবেই দিঘি তার মায়ের কাছ থেকে নিজেকে সাজানোর এই গুণটা পেয়েছে। তখনই সুব্রত বুঝতে পারেন, তিনি আসলে একা নন। দোয়েলের না থাকার মধ্যেও, তার উপস্থিতির একটা আভাস আছে।সুব্রতই যে শুধু ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করেন, এমনটা নয় মোটেও। তিনি জানান, দিঘি নাকি দিন দিন সুব্রতর মেয়ে থেকে মায়ে পরিণত হয়ে উঠছে। বাবাকে এখন শাসনও করে ছোট্ট মেয়েটি। কখনো বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে গেলে ফোনে দিঘির কড়া কথা শুনতে হয় সুব্রতকে, ‘বাবা, কোথায় তুমি? ফিরছ কখন? আজ কি বাসায় ফেরার ইচ্ছে নেই? এখনই আসো!’ | 80,518 |
-1 | opinion | মতামত | ২১ আগস্ট ২০১৪, ০০:৩১ | ২১ আগস্ট ২০১৪, ০০:৩২ | মতামত,সম্পাদকীয়: | 0 | ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/296323 | পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের বিভীষিকার ২৯ বছর পরে এই আগস্টেই প্রতিক্রিয়াশীল অন্ধকারের শক্তি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। তারিখটি ছিল ২১ আগস্ট। সেদিন যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা ওই নৃশংস হামলার তদন্ত ও বিচারের জন্য কোনো উদ্যোগ না নিয়ে যে রাজনৈতিক কৌশল নিয়েছিলেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এই মামলা ঘিরে জজ মিয়া গল্পের প্রচারণায় মানুষ আঁতকে উঠেছিল। এখন এই মামলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার শর্তপূরণের দিকটিতে বর্তমান সরকার আরও উদ্যোগী হবে, সেটাই সবার প্রত্যাশা।আওয়ামী লীগের বিগত আমলে গ্রেনেড হামলার নবম বার্ষিকীতে সরকারি কৌঁসুলিরা ধারণা দিয়েছিলেন, সরকারের মেয়াদ আর পাঁচ মাস আছে, অথচ বিচার-প্রক্রিয়া গুটিয়ে নিতে আরও আট মাস সময় দরকার। সেই আট মাস অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। এই সময়ে আওয়ামী লীগকে বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়নি। তা সত্ত্বেও মামলাটির অগ্রগতি না হওয়া রহস্যজনক। প্রধান কৌঁসুলি ১২ মাস পরে এসে নতুন করে মামলা নিষ্পত্তি করতে আরও ১২ মাস লাগার যে যুক্তি খাড়া করেছেন, তা অগ্রহণযোগ্য।উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সম্পূরক অভিযোগপত্রে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যুক্ত করার পর থেকে এই চাঞ্চল্যকর মামলা নতুন মাত্রা লাভ করেছে। কিন্তু সেটি তো মামলা বিলম্বিত করার যৌক্তিক কারণ হতে পারে না। আশা করব, এই মামলার রায় বিচারিক আদালত যাতে দ্রুত দিতে পারেন, সে ব্যাপারে সরকার সর্বতোভাবে সহায়তা দেবে। নিম্ন আদালতের রায় তো আসামিদের দণ্ড চূড়ান্ত করবে না। তাই এই মামলার অভিযোগপত্রে কোনো অন্তর্নিহিত দুর্বলতা বা অনিয়ম থাকলে থাকলে তা আপিল পর্যায়ে ঘোচানো সম্ভব হবে।আসামিপক্ষের সংশয় হলো, এ মামলার গতিপ্রকৃতি সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার দোলাচলের সুতোয় বাঁধা। এই সংশয় দূর করার জন্যও মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। আমরা চাই, ২১ আগস্টের ঘৃণ্য হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক। একই সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্ব। | 86,876 |
রাকিব কিশোর | life-style | জীবনযাপন | ২৯ মে ২০১৮, ২৩:০৫ | ০৩ জুন ২০১৮, ১২:৫৮ | নকশা,বেড়ানো,ভ্রমণ | null | দেশ পেরিয়ে মেঘের দেশে | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1498906 | কিছুদিন আগেই বেড়াতে গিয়েছিলাম মেঘের বাড়িতে। তীব্র শীতের মধ্যেও মেঘের কি অফুরান আনাগোনা। সূর্যের সঙ্গে কানামাছি খেলে খেলে সবগুলো মেঘ ছুঁয়ে গিয়েছিল ১৫ জন ম্যাডভেঞ্চারিস্টকে। অহ্, বলা হয়নি, আমাদের ঘোরাঘুরির একটা গ্রুপ আছে—নাম ‘ওয়াইল্ড অ্যাডভেঞ্চার’। এখান থেকেই ১৫ জন মেঘ দেখেতে গিয়েছিলাম মেঘের দেশে। আমরা মেঘের ওপরে দৌড়েছি, পানির নিচে হেঁটেছি, পাহাড়ের ওপরে উড়েছি! বাদ রাখিনি একটি সকালও। শিলং, মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি—সব ঘুরে আমরা দেখেছি প্রকৃতির বিস্ময় লিভিং রুট ব্রিজ। দাঁড়িয়েছি পাহাড়ের একেবারে শেষ মাথায়—স্মিতভ্যালিতে, যেখান থেকে একটু পা হড়কালেই কয়েক মাইল নিচে পড়ে যেতে হবে! ঘুরেছি এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামে। সবশেষে অবাকের চূড়ান্ত হয়েছি স্বচ্ছ পানির উমগট নদী দেখে। আমরা গিয়েছিয়াম মেঘালয়।আমাদের সিলেটের তামাবিল সীমান্ত থেকেই ছানাবড়া চোখের শুরু। বাংলাদেশের পুরো উত্তর দিকটা দেয়াল করে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘালয়ের সব শেষ শহর ডাউকি। এখানেই বাজারে ডলার আর টাকা ভাঙিয়ে দেশের সীমানা ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেলাম পাংতুমাই ঝরনায়। যে ঝরনাটা বাংলাদেশ থেকে শুধু দেখা যায়। সেটার জলে গা না ভিজানোর মতো বোকামি আমরা কেউই করলাম না। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আমাদের গাড়ি পৌঁছাল এশিয়ার রুয়াই গ্রামে। এখানে রয়েছে প্রকৃতির এক অদ্ভুত সৃষ্টি—লিভিং রুট ব্রিজ। পাহাড়ি ঝিরির দুই পাশের গাছ মিলে প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয়েছে জীবন্ত এই সেতু। মাথার ওপরে জীবন্ত গাছ, পায়ের নিচে টলটলে পানি!এরপরের গল্পটুকু স্রেফ অবিশ্বাসের—এরা পাহাড় কাটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে! টানা আধঘণ্টা এবড়োখেবড়ো পথে চলার পর হুট করে রাস্তাটা হয়ে গেছে মসৃণ, মাখনের মতো! সে মাখনে প্রলেপ দিতে দূর থেকে ছুটে আসছে মেঘের দল, মুহূর্তের মধ্যেই তারা ঢেকে দিল পুরো রাস্তা। রাস্তার দুপাশ জুড়ে মেঘের ঘরবসতি। এ সময় কেউ নিচ থেকে তাকালে নিশ্চিত দেখত যে মেঘের ওপর দিয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলে যাচ্ছে গাড়িগুলো!মেঘালয়ের এই রাস্তাগুলো এমনই, সারাক্ষণ মেঘ পড়ে থাকে এখানে। ফুঁ দিয়ে মেঘ সরিয়ে এগোতে হয় সামনের দিকে। কখনো অপেক্ষা করতে হয় সামনের মেঘ কেটে যাওয়ার জন্য, আবার কখনো অপেক্ষা করতে করতে দেখা মিলে অসম্ভব সুন্দর রংধনুর! প্রায় আড়াই ঘণ্টার মেঘের রাস্তা পেরিয়ে আমরা চলে গেলাম শিলং শহরে। পাহাড়ের ওপর থেকে ঘুরে ঘুরে এখানে নামতে হয়। ওপরে তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রি, সেটা এই শহরে ১৬-১৮ ডিগ্রি। ছবির মতো সাজানো-গোছানো পরিকল্পিত এক শহর। আমরা ছিলাম লাবাং এলাকায়। প্রতিটা বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো। এখানে প্রায় সবাই বাংলাদেশি। দেশভাগের সময় যাঁরা এ দেশ থেকে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা সারা জীবনের জন্যই আস্তানা গেড়েছেন সেখানে। শিলং ছোট্ট শহর। এখানেই সবকিছুই পুলিশ বাজারকে ঘিরে। এলিফ্যান্ট ফলস, সুইট ফলস, উমিয়াম লেক, এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্যাথেড্রাল, শিলং পিক, লেডি হায়দার পার্কসহ আরও অনেক জায়গা আছে দেখার জন্য। তবে সবাইকে একধাক্কায় কাত করে দিয়েছে স্মিতভ্যালি। হুট করে দেখলে দেখা যাবে পুরো পাহাড়ে সাগরের ঢেউ লেগেছে। ঢেউ টিনের মতো ঢেউ ঢেউ এই স্মিতভ্যালি। যত দূর চোখ যায় কোনো গাছপালা নেই, সোনালি ঘাস বিছানো পুরো ভ্যালিজুড়ে। এখানের সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, পাহাড়টা হুট করে শেষ হয়ে গেছে, একেবারে কিনারায় এসে দাঁড়ালে মনে হবে দুনিয়ার শেষ মাথায় বুঝি চলে এসেছি।পরদিন আমরা গেলাম মওকডক ভ্যালি। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে রশি দিয়ে ঝুলে ঝুলে যেতে হবে। একেকজনের ৮০০ রুপি করে লাগল। সেদিন ওই দড়িতে না ঝুলে পড়লে জানতামই না বিশাল পাহাড়ের মাঝে একাকী হয়ে গেলে জীবনের অর্থই পাল্টে যায়। দুই পাহাড়ের ঠিক মাঝখানে যখন ঝুলে ঝুলে ছুটে যাচ্ছি, তখন আমার পায়ের নিচে বিশাল এক ঝরনা। নিজের কালো ছায়াটা দৌড়ে বেড়াচ্ছে অচিন দেশের সবুজ পাহাড়ে!পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় চেরাপুঞ্জিতে। এখানেই দেখা মিলে বিশ্ববিখ্যাত সেভেন সিস্টার ওয়াটার ফলসের। মেঘালয়ের সাতটা রাজ্যের পানি এখানে এসে পড়ে বলেই এর নাম সেভেন সিস্টার্স। এসব পানি সিলেটের ভোলাগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। সেভেন সিস্টার্সের একেবারে মাথায় এসে দাঁড়ালে পরিষ্কার দেখা যায় বাংলাদেশের গোটা সুনামগঞ্জ এলাকা। এখান থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম নোহকালিকাই ওয়াটার ফলসে। বাঙালিরা দুষ্টুমি করে একে বলে নোয়াখালী ফলস!ফেরার পথে পরিকল্পনা ছিল উমগট নদীর পাড়ে রাত কাটিয়ে পর দিন ঢুকে যাব বাংলাদেশে। মাঝরাতে পৌঁছালাম উমগটে, সেখানে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা তাঁবুতে ব্যাগ রেখে অমাবস্যার আলোতে চালিয়ে দিলাম ক্যাম্প ফায়ার আর বার-বি-কিউ। সকালে চোখ মেললাম স্বচ্ছ জলের এক নদীতে। নদীর পানি এতই স্বচ্ছ যে দূর থেকে নৌকাগুলোকে দেখলে মনে হবে হাওয়ায় ভাসছে! এর অবস্থান ভারতের মেঘালয়ে। জাফলং থেকে বড়জোর ৮ কি.মি.। গাড়িতে যেতে লাগে ২০ মিনিট। কোনো ক্যামেরার লেন্সে এই সৌন্দর্য তুলে ধরা যাবে না। এখানে ঘণ্টাখানেক ঘুরে বেড়ালেই মাছেদের সংসার দেখা যায়, গোনা যায় পাথরের পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য টিকেও!কীভাবে যাবেনতামাবিল-ডাউকি বন্দর দিয়ে ভারতের ভিসা করিয়ে নিন। সোনালী ব্যাংকে ৫০০ টাকার ট্র্যাভেল ট্যাক্স জমা দিয়ে রাখুন। এরপর কোনো এক শুভদিন দেখে রওনা করে দিন। ডাউকি থেকে শিলং আড়াই ঘণ্টার স্বর্গীয় পথ। বাংলাদেশি টাকায় ৭ থেকে ৮ হাজার দিয়ে অনায়াসেই তিন দিন ঘুরে আসতে পারবেন। মেঘালয়ে যেকোনো সময়েই যেতে পারবেন। সারা বছর সেখানে মেঘ থাকে। এই ঈদের ছুটিতে মেঘালয় যেমন ঘুরে আসতে পারেন, তেমনি করে কম খরচে দার্জিলিং, ভুটান আর নেপালও বেড়িয়ে আসতে পারেন। | 365,391 |
বাসস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ২২:১৭ | ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ২২:২৭ | সরকার | null | বিএনপি-জামায়াত গুপ্তহত্যায় লিপ্ত : প্রধানমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/840496 | কলাবাগানের জোড়া খুনের মতো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত চক্রকে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে এই চক্র এ ধরনের গুপ্ত ও জঘন্য হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ভাষণে এসব কথা বলেন। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের আন্দোলন নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়। তাই তারা এ ধরনের গুপ্তহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে এবং সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া তথ্য দিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করার জন্যও তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। | 223,291 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:৫৮ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:০৬ | রাজনীতি,বিকল্পধারা,আওয়ামী লীগ,একাদশ সংসদ নির্বাচন | null | বিকল্পধারার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ শুক্রবার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1563303 | বি. চৌধুরীর চিঠি শেখ হাসিনা গ্রহণ করে বিকল্পধারাকে আগামী ২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সংলাপের জন্য গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও দলটির নেতা অসীম কুমার উকিল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসভবন মায়াবীতে গিয়ে শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্র বি. চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন।চিঠি গ্রহণ করে বি. চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আমাদের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন, সেটা বিকল্পধারার দাবি ছিল। বি. চৌধুরী বলেন সংলাপ ছাড়া সমস্যার সমাধান হয় না। তাই আমাদের প্রেসিডিয়ামদের সবার সিদ্ধান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি সংলাপের জন্য। সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের দুজন নেতা এসেছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পৌঁছে দিয়েছেন। এর জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।বি. চৌধুরী বলেন, যুক্তফ্রন্ট্রের পরিধি বাড়ছে। বেশ কয়েকটি দল এবং জোটের শরিক বিকল্প ধারায় যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে। আমরা যুক্তফ্রন্টের ৫ দফা দাবির স্বপক্ষে থাকব। নিরপেক্ষ নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা চাই আমরা।শেখ হাসিনার চিঠি বি. চৌধুরীর কাছে হস্তান্তরের পর আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ এবং অসীম কুমার উকিল সাংবাদিকদের বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বি. চৌধুরীর চিঠি পেয়ে তাৎক্ষণিক সাড়া জানিয়েছেন এবং ২ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে গণভবনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা আরও বলেন, তবে আলাপ আলোচনা সংবিধানের ভিত্তিতে হতে হবে। আমরা এসেছি এটা বলার জন্য যে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার দুয়ার সবার জন্য খোলা।ড. কামালের নেতৃত্বে সংলাপে যাবে ঐক্যফ্রন্ট | 380,967 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১১:২৭ | ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০৯ | ফুটবল,লিভারপুল,চ্যাম্পিয়নস লিগ | 0 | লিভারপুল-হাডার্সফিল্ড ম্যাচের হাইলাইটস দেখুন এখানে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1590912 | লিগে আবারও জিতেছে লিভারপুল। হাডার্সফিল্ড টাউনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ম্যাচের হাইলাইটস দেখে নিন এখানে।লিগে জিতেই চলেছে লিভারপুল। ২৯ বছর পর লিগ শিরোপার স্বপ্নে বিভোর ক্লাবটি। সেই লক্ষ্যে গতকাল এর মধ্যেই অবনমিত হয়ে যাওয়া দল হাডার্সফিল্ড টাউনের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল তারা। পুঁচকে হাডার্সফিল্ডকে উড়িয়ে দিতে বিন্দুমাত্রও বেগ পেতে হয়নি তাদের। ৫-০ গোলে জিতেছে তারা।ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন দলের গিনিয়ান মিডফিল্ডার নাবি কেইটা। মোহাম্মদ সালাহর বাড়িয়ে দেওয়া এক বলে গোল করেন এ মৌসুমে লিভারপুলে আসা এই তারকা। ৫৩ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে আসা এই তারকা মৌসুমের শুরু থেকে নিজেকে তেমনভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না। যে কারণে অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে যেন এক নতুন কেইটাকে দেখছেন সমর্থকেরা। গত এক মাসে লিগে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে গোল করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগে পোর্তোর বিপক্ষেও গোল করেছেন তিনি। আর গতকাল মাত্র ১৫ সেকেন্ডে গোল করে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে লিভারপুলের খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে কম সময়ে গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। কেইটার পরে শুরু হয় ‘সালাহ-মানে শো’। দুটি করে গোল করেন লিভারপুলের আক্রমণভাগের এই দুই রত্ন। গতকাল রবার্তো ফিরমিনো খেলেননি, খেললে হয়তো জয়ের ব্যবধান আরও বেশি হতো!খেলার হাইলাইটস দেখতে ক্লিক করুন এখানে। | 399,672 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৪২ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৪৩ | সাতক্ষীরা,বাগেরহাট,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা | 0 | বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/623617 | বাগেরহাটে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গতকাল শনিবার এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সাতক্ষীরায় গত শুক্রবার বাসের ধাক্কায় এক শিশু নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আটজন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মালমগাছি গ্রামের হানিফ শেখ (৪২) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের শিরিনা খাতুন (৪)।বাগেরহাট সদর উপজেলার দড়াটানা সেতু-সংলগ্ন ফতেপুর মেরিন একাডেমির সামনে দুর্ঘটনায় নিহত হানিফের চাচাতো ভাই আবদুস ছালাম বলেন, হানিফ সকালে খুলনায় তাঁর মা-বাবাকে ডাক্তার দেখিয়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দড়াটনা সেতু থেকে নামার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলিকে পাশ দিতে গিয়ে ইজিবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই হানিফ নিহত হন।সাতক্ষীরায় পারুলিয়া মোড়ে রাতে বাসের ধাক্কায় নিহত হয় শিরিনা খাতুন। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে পারুলিয়া চার রাস্তার মোড়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে যাত্রী নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় সাতক্ষীরাগামী একটি বাস ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই শিশু শিরিনা মারা যায়।এ সময় ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে মধু হোসেন, তাসলিমা খাতুন, আলগীর হোসেন (৮) ও মাওলা বক্স মৃধা (৭০) আহত হন। তাঁদের দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। | 166,336 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৫ মে ২০১৬, ১৬:১৭ | ২৫ মে ২০১৬, ১৬:৩১ | দেশের ক্রিকেট | 0 | শামসুরের সেঞ্চুরিও রুখতে পারেনি আবাহনীর জয় | http://www.prothom-alo.com/sports/article/868210 | কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ৯৫ রানে অপরাজিত ছিলেন শামসুর রহমান। ‘নো বল’ বিতর্কে সেদিন নিজেকে ‘সেঞ্চুরি-বঞ্চিত’ই ভেবেছিলেন এই ওপেনার। এক ম্যাচ পরেই আবাহনীর বিপক্ষে আজ ১৩৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ব্যক্তিগত আফসোস পুষিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে জেতাতে পারেননি। গতকাল আবাহনীর গড়া ২৭৬ রানের জবাবে আজ রিজার্ভ ডেতে ২৪৪ রান করে ৩২ রানে হেরেছে গাজী গ্রুপ।এবারের প্রিমিয়ার লিগটা দুর্দান্তই কাটছে শামসুর রহমানের। ২০১৪ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে (টেস্ট)। প্রায় দেড় বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই দৃষ্টি কাড়ছে নির্বাচকদের। ৭ ম্যাচে ৪ ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে শামসুর ৭৯.৩৩ গড়ে করেছেন ৪৭৬ রান। প্রাইম ব্যাংক, রূপগঞ্জ, কলাবাগান ক্রীড়াচক্র, কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে চারটি ফিফটির পর আজ আবাহনীর বিপক্ষে পেলেন আরাধ্য সেঞ্চুরিটি।২৭৬ রানের চ্যালেঞ্জ টপকাতে কাউকে বড় একটা ইনিংস খেলতেই হতো। শামসুর রহমান তা খেলেছেন। কিন্তু গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের আর কোনো ব্যাটসম্যানই তাঁকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেননি। আরেক ওপেনার এনামুল হক রানের খাতাই খুলতে পারেননি। অলক কাপালি, ইলিয়াস সানি, ফারুক হোসেনরা ভালো শুরু করেও (যথাক্রমে ১৫,১৩, ২৯) নিজেদের ইনিংসগুলো টেনে নিয়ে যেতে পারেননি।দারুণ বোলিং করেছেন আবাহনীর পেসার তাসকিন আহমেদ, ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। চোট ও নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজই প্রথম খেলতে নামা শাহাদাত হোসেনও পেয়েছেন উইকেট। ২৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন আবুল হাসান ও রজত ভাটিয়া। সাকলাইন সজীব ৪৪ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।এই ম্যাচ জেতায় ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট হলো আবাহনীর। এতে পয়েন্ট তালিকার ছয়ে থাকা দলটির সুপার সিক্সে ওঠার সম্ভাবনা একটু বাড়ল। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের পয়েন্টও ৮, নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় আবাহনীর ঠিক ওপরেই তাদের অবস্থান। | 225,865 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ আগস্ট ২০১৬, ০১:৪৫ | ২২ আগস্ট ২০১৬, ০১:৪৭ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর | 0 | সিটি করপোরেশনকে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকা দিল চট্টগ্রাম বন্দর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/953872 | চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের হাতে এক চেকে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার পৌরকর তুলে দিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল। গতকাল রোববার সকালে বন্দর ভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চেক তুলে দেওয়া হয়।বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত পৌরকর ৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে সিটি করপোরেশনের বিধান অনুযায়ী, অগ্রিম কর অর্থাৎ প্রথম কোয়ার্টারে পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাবে করদাতা। সেই হিসাব অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে পরিশোধ করে চার কোটি টাকা ছাড় পেয়েছে।অনুষ্ঠানে বন্দরের পর্ষদ সদস্য কমোডর জুলফিকার আজিজ ও জাফর আলম, পরিচালক সাদেকা বেগম, গোলাম ছরওয়ার ও লে. কর্নেল আবদুল গাফ্ফার, বন্দরসচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (ভূমি) জিল্লুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বন্দর সূত্র জানায়, পৌরকর নিয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে ২০১২-১৩ অর্থবছরে। গত পাঁচ বছরে ২৫৬ কোটি টাকা পৌরকর পরিশোধ করেছে বন্দর। | 252,251 |
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৩৯ | ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪২ | পটিয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | অস্ত্র উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/412567 | চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া এলাকায় একটি মাইক্রোবাস থেকে দুটি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। তবে এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চট্টগ্রামগামী একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় গাড়ির আসনের পাশ থেকে পলিথিন মোড়ানো দুটি এলজি উদ্ধার করা হয়। মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে। | 103,308 |