author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:০৬ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:০৬ | বিশাল বাংলা | 0 | নবজাতকের লাশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1084935 | গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বিশ্বাসপাড়া এলাকা থেকে গতকাল গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় এক নবজাতক কন্যাশিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এলাকার জহিরুল ইসলামের বাড়ির পাশে কে বাবা কারা গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ওই নবজাতকের লাশ ফেলে রাখে। গতকাল সকালে স্থানীয় লোকজন লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তবে শিশুটি কার তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। কালিয়াকৈর থানার এসআই দবির উদ্দিন বলেন, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। | 295,338 |
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মার্চ ২০১৭, ০০:০৩ | ২১ মার্চ ২০১৭, ০০:০৩ | মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | স্মরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1114456 | গানের দল দোহারের অন্যতম সংগঠক এবং লোকগান সংগ্রাহক ও শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যকে স্মরণ করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মৌলভীবাজার জেলা সংসদ। গত রোববার সন্ধ্যায় সংগঠনের শাহ মোস্তফা সড়কের কার্যালয়ে এই স্মরণসভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন উদীচী জেলা সংসদের সহসভাপতি নাজমা বেগম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাফিজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণা ও কালিকাপ্রসাদের কর্মজীবন নিয়ে কথা বলেন লোক গবেষক মাহফুজুর রহমান, গবেষক দীপংকর মোহান্ত ও সাস্কৃতিক কর্মী মনোজ দাশ। লোকগানের শিল্পী মীর ইউছুফের নেতৃত্বে গান পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। | 305,083 |
-1 | sports | খেলা | ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৪:১৫ | ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৪:১৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | খেপেছে পিসিবি! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1057915 | একদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জোর চেষ্টা করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাকিস্তান সফরে নেওয়ার। ওদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন (ফিকা) পরশু বিবৃতি দিয়ে বলছে, পাকিস্তান এখনো ভীষণ অনিরাপদ দেশ। ক্রিকেটারদের সেখানে না যেতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পিসিবি তাই ভীষণ খেপেছে ফিকার ওপর। পাল্টাবিবৃতিতে দাবি করেছে, পাকিস্তান থেকে হাজার মাইল দূরে বসে দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে মন্তব্য করা ফিকাকে মানায় না। ওয়ান ইন্ডিয়া | 282,485 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুন ২০১৫, ০২:০৭ | ২৩ জুন ২০১৫, ০২:০৭ | বিশাল বাংলা | 0 | নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/560367 | প্রশাসনের আশ্বাসে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। শীতলক্ষ্যা-ধলেশ্বরী মোহনায় বিভিন্ন নৌযানে চাঁদাবাজি ও নৌ-শ্রমিকদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা বন্ধের দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু করা হয়েছিল।বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, রোববার রাতে নৌ-পুলিশ, বালুমহাল ইজারাদার ও নৌযান মালিক-শ্রমিক নেতারা এক বৈঠকে বসেন। এতে সিদ্ধান্ত হয়, বালুমহালের ইজারাদারেরা তাঁদের সীমানার বাইরে টোকেন দিতে পারবেন না। ত্রিপক্ষীয় এ বৈঠকের পর সোমবার (গতকাল) সকাল থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কমিটি। | 147,246 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:৪৩ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৫ | ওবায়দুল কাদের,আওয়ামী লীগ,বিকল্পধারা,একাদশ সংসদ নির্বাচন,নির্বাচন কমিশন,ইভিএম | null | যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে: কাদের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1563669 | বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাঁদের খুবই ইতিবাচক বলে মনে হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তাঁরা অত্যন্ত গঠনমূলক ও ইতিবাচক কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে।শুক্রবার দিবাগত রাতে সংলাপ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেছেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট দাবি হিসেবে এনেছে, তা আমরা মেনে নিয়েছি। সব দাবি তো আর মানা যাবে না। এখানে সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে কিছু দাবি জড়িত। তবে তাঁদের ধন্যবাদ দিতে হবে যে সংবিধান সংশোধন কিংবা পরিবর্তন করতে হবে, এমন কোনো মেজর দাবি তাঁরা করেননি।’ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তাঁদের আলোচনা থেকে এই সুরই স্পষ্ট হয়েছে যে তাঁরা সরকার পরিবর্তন কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে জোর কোনো দাবি উত্থাপন করেননি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তারা হ্যাপি (খুশি)।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, সংলাপ সৌহার্দ্যপূর্ণ, গঠনমূলক, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবার বক্তব্য শুনেছেন। এখানে উভয় পক্ষ মিউচুয়াল হলো, উভয়ই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এক সুর। তাঁদের একজন ছাড়া ২০ জনই কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দেওয়া দাবির অনেকগুলোই মেনে নিয়েছেন। যেমন: নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাঁরা বলেছেন, সংসদ হয় ভেঙে দিতে হবে, না হয় নিষ্ক্রিয় করতে হবে। আমাদের নেত্রী পরিষ্কারভাবে বলেছেন, সংসদের শেষ সেশন হয়ে গেছে, তাই এটি নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। নির্বাচনের যখন শিডিউল ঘোষণা হবে, আমাদের সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।’যুক্তফ্রন্টের দাবির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তাঁদের দ্বিতীয় দফা দাবি পুরোটাই মেনে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তৃতীয় দফা দাবির আংশিক মেনে নেওয়া হয়েছে। তা হলো নির্বাচনে সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার অথবা বর্তমান সরকারের নির্বাচন বিষয়ে সম্পূর্ণ ক্ষমতা সীমিত করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। সীমিত অলরেডি হয়ে গেছে।’নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করার দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেনাবাহিনী নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। সেনাবাহিনী সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের দেশেও সংকটে, দুর্যোগে তাদের অবদান অসামান্য। এই সেনাবাহিনীকে যত্রতত্র ব্যবহার না করাই ভালো। সেনাবাহিনী অবশ্যই নিয়োজিত হবে, তবে তা হলো তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।’নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সঠিক হবে না, যুক্তফ্রন্টের এমন দাবির প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তা সংসদে পাস হয়নি। এটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এখন নির্বাচন কমিশন এই সময়ের মধ্যে কতটা ইভিএম ব্যবহারে ভূমিকা রাখতে পারবে, সেটা একবারে পরিষ্কার নয়। হয়তো সীমিত আকারে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা নির্বাচন কমিশনের থাকতে পারে। তারপরও যুক্তফ্রন্ট নেতাদের বিশেষ অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। সে জন্য আমরা এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার ঠিক হবে না বলে মনে করি।’ | 381,431 |
রাজধানী প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৮ | ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৮ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | জুরাইনে নালায় বুদ্বুদ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1006329 | পূর্ব জুরাইনের বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইনের পাইপ ছিদ্র হয়ে বুদ্বুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পূর্ব জুরাইনের গ্যাসের সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া এই এলাকায় সারা বছরই গ্যাসের তীব্র সংকট রয়েছে। এই এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব জুরাইনের খোরশেদ আলী সরদার রোড-সংলগ্ন করলা গার্মেন্টসের পাশে নালায় বড় বড় বুদ্বুদ সৃষ্টি করে গ্যাস বের হচ্ছে। ফলে এই সড়কের ১১২, ১১২/১, ১১২/২ ও ১৩৯, ১৪০, ১৪১ নম্বর হোল্ডিংয়ের বাসিন্দারা দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। একইভাবে হাজী খোরশেদ আলী সরদার রোডের ৭২৬/১ থেকে ৭৩৩ ও ১৮৫৪/১ থেকে ১৯০৫/৫ হোল্ডিং পর্যন্ত বাড়ির সামনের নালায় বুদ্বুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ব জুরাইন প্রধান সড়ক, মিষ্টির দোকান, তিতাস খাল, শ্যামপুর খালে এলাকার নালাগুলোতে বুদ্বুদ করে গ্যাস বের হতে দেখা গেছে। এতে এই এলাকার অধিকাংশ বাড়ি-ঘরে সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ থাকে না বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।গ্যাসের অভাবে দৈনন্দিন রান্নাবান্নার কাজে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ করেছেন হাজী খোরশেদ আলী সরদার রোডের বাসিন্দা খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, ড্রেন দিয়ে বুদ্বুদ আকারে গ্যাস বের হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের চাপ কম থাকায় চুলায় আঁচ ওঠে না। শীতকালে এই সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। রান্নাবান্না করা কঠিন হয়ে পড়েছে।ডিএসসিসি সূত্র জানায়, বর্তমানে পূর্ব জুরাইনে আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবন। কিন্তু সে অনুযায়ী গ্যাসের সরবরাহব্যবস্থা উন্নত হয়নি।ডিএসসিসির ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেন, পূর্ব জুরাইনের গ্যাসলাইনের পাইপগুলো মাটির অনেক গভীরে। পাইপগুলোও অনেক পুরোনো। ফলে করলা গার্মেন্টসের পাশে গ্যাসের প্রধান সঞ্চালন লাইনসহ বিভিন্ন স্থানে পাইপ ছিদ্র হয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। নতুন পাইপ লাগাতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং তিতাস গ্যাসের মতিঝিলের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ বিভাগে কয়েক দফায় আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। | 258,783 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৩:৪২ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৩:৪৯ | রাজনীতি | null | প্রেসক্লাবে জঙ্গিদের মিটিং করার তথ্য আছে: বেনজীর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/111427 | জাতীয় প্রেসক্লাবে জঙ্গিরা মিটিং করে—পুলিশের কাছে এমন তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ। আজ সোমবার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।গতকাল রোববার পুলিশের উপস্থিতিতে প্রেসক্লাবে হামলা হলো কীভাবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, প্রেসক্লাবে জঙ্গিরা মিটিং করে। একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক স্বার্থে ঢাল হিসেবে প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে। জাতীয় প্রেসক্লাব সবার। একটি বিশেষ গোষ্ঠী এটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না।’সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের ওপর যুবলীগের হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে ভেতরে ঢুকেছে। সেখানে আইনজীবীদের আড়ালে বহিরাগতরা অবস্থান নিয়েছিল। এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের অনুরোধ করব।’বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে বালুভর্তি ট্রাক কেন রাখা হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’পুলিশের উপস্থিতিতে সরকারদলীয় কর্মীরা কীভাবে লাঠিমিছিল করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটা শুধু লাঠি না। লাঠির মাথায় পতাকা ছিল। এটা পতাকা মিছিল ছিল।চলতি ইংরেজি বছরের শেষ দিনে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে এই ব্রিফিং করা হয়। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহীম ফাতেমী, মিলি বিশ্বাস ও শেখ মারুফ হাসান। থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তাডিএমপি কমিশনার জানান, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত আটটার পর থেকে বেশ কিছু সড়ক দিয়ে ঢোকা যাবে, কিন্তু বের হওয়া যাবে না। রাত আটটার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় এলাকায় অবস্থান করা লোকজন ছাড়া বাইরের কেউ ঢুকতে ও বেরোতে পারবেন না। কোথাও কোনো লাইসেন্স করা অস্ত্রও বহন করা যাবে না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের রাত আটটার আগেই ঘরে ফেরার অনুরোধ করেছেন বেনজীর। হাতিরঝিলেও সব সড়ক বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে সবাইকে তাঁর প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। | 39,652 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৫৬ | ১০ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৫৬ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | আওয়ামী লীগ নেতা মো. আইয়ুব আলীর স্মরণ সভা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/735736 | আওয়ামী লীগ নেতা মো. আইয়ুব আলীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি বিকেলে নগরের উত্তর পতেঙ্গার কাটগড় এম এ আজিজ উদ্যানে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক কাউন্সিলর সফিক আহমদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু প্রবীণ সমিতির সম্পাদক আবদুর রহিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেন ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হারুন উর রশিদ, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের, পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক এ এস এম ইসলাম, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রমুখ। স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষ ও দেশের মানুষ দুর্দিনে আইয়ুব আলী সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন চিকিৎসক হিসেবে মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন তিনি। সভা শেষে আইয়ুব আলীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি। | 191,170 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ আগস্ট ২০১৫, ১৮:৩০ | ০৮ আগস্ট ২০১৫, ২০:১১ | আইন ও বিচার | null | মুফতি ইজহার কারাগারে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/597016 | বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে আজ শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বিকেলে আদালতে হাজির করার পর চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর কৌঁসুলি আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি বিস্ফোরক মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলায় আমরা তাঁর জামিন চাইনি। কারণ বিস্ফোরক মামলাটির শুনানি ১০ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হবে। সেই আদালতে আমরা তাঁর জামিন চাইব।’ চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনটি মামলায় মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এ কারণে ওই তিনটি মামলায় রিমান্ড চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই আমরা তাঁকে আদালতে হাজির করি। মহানগর হাকিম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’ গতকাল শুক্রবার দুপুরে লালখান বাজারের জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় জুমার নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক ও অ্যাসিড আইনে করা তিনটি মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসব মামলায় তিনি দীর্ঘ দিন পলাতক ছিলেন। | 158,381 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ জুলাই ২০১৬, ০১:৪৩ | ৩১ জুলাই ২০১৬, ০১:৪৫ | -1 | 0 | রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল না হলে হরতালের হুমকি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/930802 | বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে ২০ আগস্ট সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। এর মধ্যেও দাবি পূরণ না হলে হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জাতীয় কমিটি।গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।২৮ জুলাই সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা হওয়ার সময় ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে গতকালের এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।আনু মুহাম্মদ বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ২০ আগস্ট সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। সেখানে গান, কবিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুন্দরবন নিয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বিষয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যেও দাবি পূরণ না হলে হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, কোনো কোম্পানিতে যুক্ত বিশেষজ্ঞ ছাড়া আর একজন বিশেষজ্ঞও পাওয়া যাবে না, যাঁরা বলবেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষক এ এন রাশেদা, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, মোসাহিদা সুলতানা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ। | 245,147 |
স্বপ্ন নিয়ে প্রতিবেদক | education | শিক্ষা | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৩ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৩ | মেধাবী,স্বপ্ন নিয়ে | 0 | বিদেশি দুই কৃতি | http://www.prothom-alo.com/education/article/426643 | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর বিভিন্ন ইনস্টিটিউট থেকে প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি নিতে ভর্তি হন। সমাবর্তনেও দেখা যায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের। এমনই দুজন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি হই আমরা।হিমালয়কন্যা নেপালের কৃষ্ণান্দন শাহ ও রাজেশ শ্রেষ্ঠ। তাঁরা দুজনই অংশ নিয়েছেন এবারের সমাবর্তনে। ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণান্দন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রাজেশ। দুজনই ইতিমধ্যে ভালো বাংলা শিখে নিয়েছেন। কৃষ্ণ বাংলাদেশে আছেন পাঁচ বছর আর রাজেশ আছেন প্রায় ১৩ বছর ধরে।কৃষ্ণ ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে যাবেন।কৃষ্ণ বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন এখন আমারই আরেকটা দেশ। এখনকার মানুষ, বন্ধুবান্ধব—সবই আমার আপন। সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে পড়াশোনার সমাপ্তি হলো। দেশে ফিরে যাব, কিন্তু বাংলাদেশ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মনে রাখব সব সময়।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের হল স্যার পি জে হার্টজ আন্তর্জাতিক হলেই এই দীর্ঘ সময় কেটেছে কৃষ্ণের। নেপালের এককোণে ভারতীয় সীমান্তের কাছে রাওতাহাট এলাকায় কৈশোর কেটেছে তাঁর।অন্যদিকে রাজেশের লেখাপড়া দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশেই। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং এবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে মার্স্টাস ইন সার্জারি ডিগ্রি লাভ করলেন রাশেদ।রাজেশ বলেন, ‘প্রায় ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশে আছি। নেপালের চেয়ে এখানেই যেন স্মৃতি বেশি আমার। দেশে ফিরে নেপালের হাসপাতালে যোগ দেব। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে পাওয়া শিক্ষা আর এই সমাবর্তনের কথা সব সময় মনে রাখব।’নেপালের দামাক এলাকার এই তরুণ বাংলাদেশকে ভীষণভাবে অনুভব করবেন এটা নিশ্চিত বলে জানান। | 107,848 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০১ আগস্ট ২০১৩, ০০:৩৪ | ০১ আগস্ট ২০১৩, ০০:৩৫ | বাণিজ্য | null | থ্রিজি তরঙ্গ নিলামের সময় আবারও বাড়ল | http://www.prothom-alo.com/economy/article/32854 | তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তির (থ্রিজি) তরঙ্গ নিলামে অংশ নেওয়ার নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগ গতকাল বুধবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, তরঙ্গ নিলামে অংশ নিতে আবেদন করতে হবে ১২ আগস্টের মধ্যে। ১৮ আগস্ট আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশ করবে বিটিআরসি। নিলাম-প্রক্রিয়া নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে অপারেটরদের পরামর্শের দিন ১৯ আগস্ট। নিরাপত্তা জামানত (আর্নেস্টমানি) জমা দিতে হবে ২৬ আগস্ট। যোগ্য বা অযোগ্য আবেদনকারীদের চিঠি দেওয়া হবে ১ সেপ্টেম্বর। নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ৮ সেপ্টেম্বর এবং ওই দিনই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের তালিকা টানিয়ে দেওয়া হবে।সচিবালয়ে গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেনের অনুষ্ঠিত বৈঠকে থ্রিজি নিলামের নতুন সময়সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।মোবাইল ফোন অপারেটরদের উদ্দেশে করা থ্রিজি তরঙ্গ নিলামে অংশ নেওয়ার সময়সীমা এর আগে তিন দফা পিছিয়েছে বিটিআরসি। কয়েকটি বিষয়ে সরকারের সঙ্গে অপারেটরদের জটিলতা থাকায় সেগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অপারেটররা থ্রিজি তরঙ্গ নিলামে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে থ্রিজি লাইসেন্সের ওপর ধার্য করা মূল্য সংযোজন করের (মূসক) হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা, অপারেটরদের সঙ্গে সরকারের চলমান মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারে কমিটি গঠন এবং থ্রিজির জন্য ভবিষ্যতে যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী সপ্তাহে কয়েকটি বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে এনবিআর। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতি মেগাহার্টজের তরঙ্গ মূল্য দুই কোটি ডলার নির্ধারণ করে থ্রিজি লাইসেন্স নীতিমালা করে সরকার। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিটক বর্তমানে পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। নিলামে অংশ না নিলেও যে দর উঠবে, সেই টাকার সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে লাইসেন্স নেবে টেলিটক। উল্লেখ্য, সবাইকে লাইসেন্স দেওয়া হবে ১৫ বছরের জন্য। | 6,768 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ২৮ মে ২০১৬, ১৭:০০ | ২৮ মে ২০১৬, ১৭:০১ | ভারত | null | শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিতে চান মমতা | http://www.prothom-alo.com/international/article/871087 | বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিতে চান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং উপমহাদেশের শান্তি রক্ষায় বিশেষ ভূমিকার জন্যই শেখ হাসিনাকে কলকাতায় এ সংবর্ধনা দিতে চান তিনি। কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের প্রেস সচিব মোফাখখারুল ইকবাল প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। গতকাল শুক্রবার মমতার শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার দূত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শপথ শেষে আমুর সঙ্গে মিনিট পাঁচেক একান্তে কথা বলেন মমতা। তখনই তিনি আমুর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে পশ্চিমবঙ্গ সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষকেও তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। | 226,773 |
চাঁদপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:১৯ | ১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২০ | চাঁদপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | জেএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দুজন গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/75301 | চাঁদপুর সরকারি কলেজ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার জেএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ও সাধারণ বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে শেখ শাওন ও অপু নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।থানাহাজতে শেখ শাওন দাবি করেন, তাঁরা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্নগুলো পেয়েছিলেন। চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মাহবুব মোরশেদ জানান, দুজনকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। | 28,577 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মে ২০১৯, ১৭:০৩ | ০৯ মে ২০১৯, ১১:৩২ | রাজনীতি,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ,ওয়ার্কার্স পার্টি | null | একদল পর্নো ছড়ায়, আরেক দল সাম্প্রদায়িকতা: মেনন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1592846 | ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ফেসবুক, টুইটার বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম দুই ধরনের মানুষের হাতে। একটি দল পর্নো ছড়িয়ে দিচ্ছে। আরেক দল ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। এর ব্যবহার আমরা দেখেছি।আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক সংসদীয় ককাস আয়োজিত নাগরিক সম্প্রীতি সভায় আলোচনায় এ কথা বলেন মেনন। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা হয়। মেনন বলেন, ফেসবুকে এই সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কক্সবাজারের রামু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এভাবে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ । দেশে নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে নির্যাতন অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে, তাতে আমরা বড় ধরনের সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বলে আশঙ্কা হচ্ছে। যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে, এগুলো ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’আজকের সভায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন, জুলুমের ঘটনা ঘটছে। তাঁরা নিপীড়িত হচ্ছেন। তাঁদের ভূমি জবরদখল করা হচ্ছে। তাঁদের মানবাধিকার রক্ষায় সরকার উদাসীন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেখানে যে জেলায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে, ওই এলাকার সংসদ সদস্যরা যেন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনকে জবাবদিহির মধ্যে নিয়ে আসে।আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের টেকনোক্র্যাট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘আদিবাসী অধিকার আইন এবং সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন জাতীয় সংসদের কার্যবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’ মেসবাহ কামাল বলেন, সংখ্যালঘু মানুষের সম্পদ হরণ করা হচ্ছে। যেন সম্পদ থাকাটা একটা অপরাধ।বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন দেশ সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছে। কিন্তু সমাজে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া ঘটনার দিকে তাকালে মনে হয়, আমরা যেন পাকিস্তানি ধ্যানধারণা বা আদর্শ ভুলতে পারছি না। দেশে রাজনীতি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সম্প্রীতির কথা বললেই সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না, যদি না রাজনীতির প্রতি তাঁরা আস্থাশীল থাকেন।বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশে যে নাগরিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা পায়, সেই চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত। সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। সমাজে সত্যি কথা বলতে গেলে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলেই তার ওপরে নেমে আসছে হুমকি।সভাপতির বক্তব্যে সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সমাজে যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন। যারা অসাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির কথা বলেন, তাঁদের সঙ্গে রাষ্ট্রের আচরণ নেতিবাচক। এখন দেশে নীরব সাম্প্রদায়িকতা চলছে। নাগরিক সম্প্রীতি সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ও ইন্টার রিলিজিয়ান হারমোনী সোসাইটির মহাসচিব মনোরঞ্জন ঘোষাল। | 401,087 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:৪৭ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৪২ | ভারত | null | রাহুলের নামে দুধ, চা, পেঁয়াজ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1389106 | ৩০ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেনের বাড়ি ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) যোগী আদিত্যনাথের ঘাঁটি গোরক্ষপুর। তবে রাহুল গান্ধীর ভক্ত আনোয়ার।২০০৫ সালে আনোয়ার ছিলেন ছাত্র। সে সময় গোরক্ষপুরের যুব কংগ্রেস আয়োজিত একটি সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন রাহুল গান্ধী। ওই জনসভায় রাহুল গান্ধীর ভাষণ শুনে অভিভূত হয়েছিলেন আনোয়ার। এরপরে ধীরে ধীরে কংগ্রেসের প্রতি অনুরক্ত হন। প্রথমে কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠন ছাত্র পরিষদ, তারপর যুব কংগ্রেস এবং শেষে কংগ্রেসে যোগ দেন।আনোয়ার রাহুল গান্ধীর আদর্শে চলেন। দেখাও করেছেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। শুরু করেছেন, কংগ্রেসের জন্য নবীন সদস্য সংগ্রহের কাজ। আনোয়ার এখন গোরক্ষপুরের কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক।সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদির চা ছিল আলোচনায়। ‘চাওয়ালা মোদি’ হিসেবে প্রচার চলে তাঁর। ওই নির্বাচনে বসে থাকেননি আনোয়ারও। এলাকায় বিনা মূল্যে দুধ বিতরণ শুরু করেন। নাম দেন ‘রাহুল দুধ’।শুধু কি তা–ই? ২০১৫ সালে আনোয়ার রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি করার জন্য নিজের রক্ত দিয়ে আবেদন লিখে পাঠান কংগ্রেস হাইকমান্ডে। এই খবর তখন গোটা দেশে সাড়া ফেলেছিল। গত বছর নভেম্বরে নোট বাতিলের পর মানুষ যখন টাকার জন্য ব্যাংকে লাইন দিয়েছিল, তখন আনোয়ার লাইনে লাইনে ঘুরে বিনা পয়সায় চা খাইয়েছিলেন। সেই চায়ের নামও ছিল ‘রাহুল হারবাল চা’। পেঁয়াজের দাম যখন বেড়ে গেল, তখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাঁচ রুপিতে বিক্রি করেন আনোয়ার। আর সেই পেঁয়াজের নাম দেন ‘রাহুল পেঁয়াজ’। উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোটারদের হাতে আনোয়ার তুলে দিয়েছিলেন গোলাপ। নাম দিয়েছিলেন ‘রাহুল গোলাপ’।নিজের বাড়িও সাজিয়েছেন রাহুলের ছবি দিয়ে। বাড়িতেই গড়েছেন রাহুলের ছবির গ্যালারি। এমনকি চা-কফি পানের মগেও দিয়েছেন রাহুল গান্ধীর ছবি। আনোয়ারের শয়নে–স্বপনে শুধু রাহুল গান্ধী। আনোয়ারের প্রিয় সেই রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি পদে গত শনিবার নির্বাচিত হয়েছেন। তাই আনোয়ারের আনন্দের সীমা নেই। এবার আনোয়ার নতুন কিছু করবেন। কিন্তু সেটা কী, তা এখনো জানাননি। | 348,380 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১১ জুলাই ২০১৫, ০১:০২ | ১১ জুলাই ২০১৫, ০১:০৪ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর | null | জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাদের জন্য ট্যাবলেট কম্পিউটার | http://www.prothom-alo.com/technology/article/574822 | বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাদের জন্য ট্যাবলেট কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। ৮ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কার্যালয়ে তাঁর কাছে ১৪৫টি ট্যাব হস্তান্তর করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। এ সময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, ‘আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-২ (ইনফো-সরকার)’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।ইনফো-সরকার প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ট্যাব বিতরণের অংশ হিসেবে এ ট্যাবগুলো দেওয়া হয়।ট্যাব বিতরণের পর জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, সরকারি কাজে আরও গতিশীলতা আনতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে এই ট্যাবগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিজ্ঞপ্তি | 152,053 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৪৯ | ২৯ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৫১ | রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ | 0 | কমলাপুরে ট্রেনের বগি থেকে একে-২২ রাইফেলসহ আটক ২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/204238 | রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি ট্রেনের বগি থেকে গতকাল সোমবার একটি একে-২২ রাইফেল, গুলি ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করেছে রেলওয়ে থানার পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই বগি থেকে নূরুল ইসলাম (৩৬) ও মো. শামীম ওরফে আবদুল্লাহ (২২) নামের দুজনকে আটক করা হয়।কমলাপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ (জিআরপি) জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি থেকে ওই রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, আটটি গুলি, তিনটি ছুরি ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া কিছু তরল পদার্থ উদ্ধার করা হয়। ওই পদার্থ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।কমলাপুর রেলওয়ে থানার এএসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, আটক দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। | 69,535 |
মো. সিদ্দিকুর রহমান | education | শিক্ষা | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০৪ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০৫ | পড়াশোনা | 0 | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | http://www.prothom-alo.com/education/article/321835 | যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।অধ্যায়-৬প্রশ্ন: বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলগুলোর নাম লেখো।উত্তর: বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। এর মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, চর হাওড়, বিল ও নদীতীরবর্তী অঞ্চল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।অধ্যায়-৭প্রশ্ন: আমরা বাড়িতে কীভাবে মানবাধিকার চর্চা করতে পারি?উত্তর: আমাদের বাড়িতে যদি কাজের লোক থাকে, তাদের প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে। যেসব খাবার আমরা খাই, তাদেরও সেসব খাবার খেতে দিতে হবে এবং পোশাক পরতে দিতে হবে। তাদের অসুখ হলে চিকিত্সক দেখাতে হবে। ছোট্ট শিশু হলে কাজের ফাঁকে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিতে হবে।এভাবে মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটিয়ে আমরা বাড়িতে মানবাধিকার চর্চা করতে পারি।প্রশ্ন: মানবাধিকারকে শ্রদ্ধা করার পাঁচটি কারণ লেখো।উত্তর: মানবাধিকারকে শ্রদ্ধা করার ৫টি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:ক. মানবাধিকারগুলো মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত হতে সাহায্য করে।খ. মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে থাকে।গ. সমাজে শান্তি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করে।ঘ. সহমর্মিতা সৃষ্টি করে।ঙ. মানুষের মানবিক মর্যাদা সমুন্নত হয়।বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালমো. সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষকপ্রগতি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা | 94,062 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:৫১ | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:৫৬ | রাজনীতি,সরকার | null | পর্যবেক্ষণ সংশোধনই আ.লীগের লক্ষ্য | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1288501 | বাইরে রায় প্রশ্নবিদ্ধ করার রাজনৈতিক চাপ রেখে ভেতরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের পর্যবেক্ষণে আসা ‘অনভিপ্রেত’ বিষয়গুলো বাদ দেওয়াই দলটির মূল লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে আদালত যাতে সেগুলো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাদ দেন, এমন একটা সমাধানের পথ খুঁজছে সরকারি দল।এই চেষ্টার অংশ হিসেবে গত শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বাসায় যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় অবস্থান করেন তিনি। তাঁরা দুজন একসঙ্গে রাতের খাবার খান। সরকার, আওয়ামী লীগ ও উচ্চ আদালতের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। সাক্ষাতের পর গতকাল রোববার সকালে গণভবনে গিয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তবে আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ বা দুই পক্ষ কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছে কি না, এই বিষয়টি খোলাসা করেনি কোনো পক্ষই। তবে ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠক আরও হবে।দলীয় সূত্র জানায়, আলোচনার মাধ্যমে দুটি পথের সন্ধান করছে আওয়ামী লীগ। প্রথমত, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পর্যবেক্ষণের কিছু অংশ বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে রাজি করানো। নতুবা পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে আওয়ামী লীগের চাওয়া পূরণ হবে, এমন নিশ্চয়তা আদায় করা।এই সমঝোতা প্রচেষ্টার বাইরে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে ও সমমনাদের দিয়ে রায়ের সমালোচনা অব্যাহত রাখবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল গতকাল আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক বৈঠকে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণের সমালোচনা করে। এ বিষয়ে প্রতিটি দল নিজেদের মতো করে রায়ের বিষয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্য তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়।১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈধ সংসদ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে রায়ে যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তা ১৪ দল প্রত্যাখ্যান করছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে রায়ে যা বলা হয়েছে, তা জনগণ মেনে নেবে না, ক্ষমা করবে না। সুতরাং এ রায়ের পুনর্বিবেচনা জরুরি।’প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে গতকাল গুলিস্তানে মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের পাশে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রধান বিচারপতির কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁদের মধ্যে দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। আলোচনা আরও হবে। সময় হলে সব জানানো হবে।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে নানা বক্তৃতা-বিবৃতি দিলেও ওবায়দুল কাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে দোষারোপ করছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আলোচনার পথ খোলা রেখেই সরকারি দল সবকিছু করছে।গতকাল মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তাঁদের সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে দেশের উন্নতির জন্য, জনগণের স্বার্থে আলাপ-আলোচনা সব সময় চালিয়ে যাবেন।এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হারুন-অর-রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা টানাপোড়েন অনেক গণতান্ত্রিক দেশেই হয়। আবার একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মতভিন্নতা বা মতদ্বৈধতার অবসান ঘটে। যদি এর অবসান না ঘটে এবং একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায়, তাহলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংকটে পড়ে। এতে অগণতান্ত্রিক শক্তি সুযোগ পায়।এদিকে আদালত সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়। তখন প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি শুক্রবার ঢাকার বাইরে থাকবেন। শনিবার সাক্ষাৎ হতে পারে। এরপরই শনিবার রাতে সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত হয়।ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ে ষোড়শ সংশোধনীর রায় দেওয়ার আগে-পরে এই দুজনের একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধান বিচারপতির বাসায় গেলেন ওবায়দুল কাদের। দুই পক্ষের আগ্রহেই এই সাক্ষাৎ হয়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, একদিকে সমালোচনার ঝড়, আরেক দিকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ-সরকারের এই দ্বৈত ভূমিকা কাম্য নয়। সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরী তো বলেই দিয়েছেন, রায় সংশোধনের তরিকা আছে। তাহলে সে পথেই সরকারের হাঁটা উচিত।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিলের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাত থেকে বিচার বিভাগের হাতে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ এতটা উদ্বিগ্ন নয়। বরং রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়েই মূলত তাদের আপত্তি। এ জন্য এই পর্যবেক্ষণ বাদ দেওয়ার বিষয়েই এখন দলটির মনোযোগ।দলীয় সূত্র আরও জানায়, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ৬ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় রায়ের পর্যবেক্ষণে থাকা ‘অনভিপ্রেত’ অংশ কীভাবে বাদ দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়। ওই আলোচনা আওয়ামী লীগের জন্য আশানুরূপ কোনো ফল বয়ে আনেনি। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা-সাংসদেরা প্রকাশ্যে রায় ও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে বক্তৃতা অব্যাহত রেখেছেন।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানায়, রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন সুবিধাজনক সময়ে এবং বিলম্ব মার্জনার মাধ্যমে করা হবে। এর মাঝে যতটা সম্ভব রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলবে। সে ক্ষেত্রে মাঠের চাপ অব্যাহত রাখা হবে। পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রায়টি প্রকাশের পর আওয়ামী লীগ আশাহত হয়েছে, বেকায়দায় পড়েছে। প্রথমদিকে রায় নিয়ে তাদের সতর্ক প্রতিক্রিয়া সঠিক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দলের নেতারা যেভাবে কথা বলছেন এবং প্রধান বিচারপতির কাছে যাচ্ছেন—এতে তাঁরা চাপ সৃষ্টি করে রায় বদলানোর চেষ্টা করছেন, এমন ধারণা তৈরি হবে, যা দলের জন্য ভালো নয়। অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ বলেন, অগণতান্ত্রিক শক্তি ছাড়া সবাই আলোচনার এই চেষ্টাকে স্বাগত জানাবে। | 332,696 |
খলিল রহমান, সুনামগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৩, ০২:৪৬ | ০৬ নভেম্বর ২০১৩, ০২:৪৭ | সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,রাজনীতি,বিশাল বাংলা | 0 | সুনামগঞ্জ বিএনপিতে বিরোধ বেড়েছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/66709 | সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির বিরোধ আরও বেড়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সব কর্মসূচি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পালন করছেন নেতা-কর্মীরা। বিভক্তি রয়েছে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতেও। কেন্দ্র থেকে চেষ্টা করেও এই অনৈক্য দূর করা যায়নি।দলীয় সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর সেটি প্রত্যাখ্যান করে দলের একাংশ। তারা কমিটি বাতিলের দাবি জানায়। একই বছরের ২২ নভেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেলা বিএনপির ১৯৫ সদস্যবিশিষ্ট পুনর্গঠিত কমিটি ঘোষণা করেন। আগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঠিক রেখে নতুন কমিটিতে আ স ম খালিদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে বাদ পড়েন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। পুনর্গঠিত কমিটি ঘোষণার আগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই পক্ষে থাকলেও পরে সাধারণ সম্পাদক সভাপতির পক্ষে যোগ দেন। মূলত কমিটি গঠন নিয়েই জেলা বিএনপি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।দলের এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ। আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই সহসভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাদীর আহমদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুরসহ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা। তিন পক্ষই পৃথকভাবে দলের সব কর্মসূচি পালন করছে। হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সব পক্ষই নিজেদের সর্বোচ্চ জমায়েত দেখানোর চেষ্টা করছে। গত ১১ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান জেলায় দলকে ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করতে সুনামগঞ্জ সফরে আসেন। তিনি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পক্ষকে নিয়ে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সভা করেন। এরপর সুনামগঞ্জ থেকে চলে যেতে চাইলে অন্য দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা তাঁদের পথরোধ করেন। পরে তিনি তাঁদের সঙ্গেও আলাদাভাবে বসে বৈঠক করতে বাধ্য হন।দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়েই মূলত এই বিভক্তি। কমিটি পুনর্গঠনের কথা বলে যে ঐক্য হয়েছিল, সেটি ছিল সভাপতি ও সম্পাদকদের মধ্যে, বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে নয়। যে কারণে দলের বিভক্তি রয়েই গেছে। তবে আমরা মাঠে সব সময় সক্রিয় আছি।’কলিম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ দল। এর ভেতরে কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। আমরা সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। কিছু ক্ষেত্রে সফলতা আছে। আশা করি, সামনে কোনো বিভেদ থাকবে না।’ | 25,818 |
মহেশখালী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৩৬ | ৩০ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৩৭ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লবণ মাঠ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/516070 | অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে জোয়ারে পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত ৪০০ একর জমির লবণ মাঠ। বর্তমানে ভাঙা বাঁধের আশপাশে লোকালয়ে জোয়ার-ভাটা চলছে। স্থানীয় লোকজন জানান, ১৮ এপ্রিল রাতে জোয়ারের প্রভাবে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণে পানি উন্নয়নের অন্তত ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ওই সময় তলিয়ে যায় লবণ মাঠ। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা বাঁধ সংস্কার না করলে বর্ষায় অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ জোয়ার-ভাটার কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। লবণচাষি ও জমির মালিকদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, জানুয়ারির শুরুতেই স্থানীয় চাষিরা লবণ উৎপাদন শুরু করে। এর মধ্যে লবণ উৎপাদনের শুরুতে চার দফা ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হন চাষিরা। সর্বশেষ বেড়িবাঁধ ভেঙে চাষিরা বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন। মাতারবাড়ীর ইউনিয়নের মগডেইল এলাকার লবণচাষি নুর কাদের ও রমিজ আলম বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে লোকালয়ে এখন জোয়ার-ভাটা চলছে। এতে লজিবর ও টিয়াকাটি চিংড়িঘেরের ভেতরে লবণ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান, বাঁধ সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। | 135,465 |
-1 | sports | খেলা | ১২ জুলাই ২০১৪, ০০:০১ | ১২ জুলাই ২০১৪, ০০:০১ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,২০১৪ বিশ্বকাপ, ব্রাজিল,বিশ্বকাপ ফুটবল,মাঠের বাইরে | 0 | আর্জেন্টিনার জরিমানা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/264889 | সব ম্যাচের আগে ফিফার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কোচের সঙ্গে অন্তত একজন ফুটবলারের থাকার নিয়ম। কিন্তু শেষ চার ম্যাচে নিয়মটি মানেনি আর্জেন্টিনা। কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা থাকলেও সংবাদ সম্মেলনে আসেননি কোনো খেলোয়াড়। আর এ জন্য পুরো তিন লাখ ৪০ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। ফিফার মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং-এর নিয়ম ভঙ্গের কারণেই আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে এই জরিমানা করা হয়েছে বলে জানায় ফিফা। অবশ্য ফাইনালে ওঠার আনন্দে এই আর্থিক জরিমানা আর্জেন্টিনা দলে কোনো প্রভাব ফেলবে মনে হয় না। ইয়াহু স্পোর্টস। | 77,174 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২০ মার্চ ২০১৫, ২১:১২ | ২০ মার্চ ২০১৫, ২১:১৫ | মাঠের বাইরে (ক্রিকেট),বিশ্বকাপ উৎসব,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | আইসিসি সভাপতির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ আম্পায়াররা! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/481981 | ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়ায় সরগরম সংবাদমাধ্যম। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ আইসিসির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। আবার আইসিসি সভাপতির মন্তব্য ও অভিযোগকে ‘দুঃখজনক’, ‘ভিত্তিহীন’ বলে বিবৃতি দিয়েছেন একই সংস্থার প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন। এখন শোনা যাচ্ছে, মুস্তফা কামালের বক্তব্যে ভীষণ ‘ক্ষুব্ধ’ সংশ্লিষ্ট দুই আম্পায়ারও।আচরণবিধির বেড়াজালে আটকা বিশ্বকাপ-সংশ্লিষ্ট সকলেই। হোক সে খেলোয়াড়, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা আম্পায়ার। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর ব্যাপারে গণমাধ্যমে সরাসরি মুখ খুলছেন না আম্পায়াররা। তবে অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ জানিয়েছে, আইসিসি সভাপতির বক্তব্যকে ‘মানহানিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ও পাকিস্তানি আলিম দার। এমনকি এ নিয়ে মুস্তফা কামালের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা!আইসিসিতে ভারতের প্রভাব ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে-এমন অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ও বিসিবির সাবেক সভাপতি মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমি “ইন্ডিয়ান” ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি না। কেউ যদি এমন ফল আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, তা মেনে নেওয়া যায় না।’কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ মার্চ ভারতের কাছে ১০৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা সমাপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের। মাঠের খেলা ফুরালেও, মাঠের বাইরের ‘খেলা’ যেন শেষ হয়নি! তথ্যসূত্র: সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। | 124,470 |
কাজী এস হোসেন | life-style | জীবনযাপন | ১৪ মার্চ ২০১৭, ০০:১৮ | ১৪ মার্চ ২০১৭, ০০:২০ | আপনার রাশিফল,রাশিফল,মতামত | 0 | আপনার রাশিফল | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1106941 | আজ ১৪ মার্চ। আজকের এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি মীন রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৩ ও ৫। গুরুত্বপূর্ণ দিন বুধ ও বৃহস্পতিবার। শুভ রং—সবুজ, গোলাপি, সাদা। শুভ রত্ন—ক্যাটস আই, পান্না। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—বিজ্ঞানী অালবার্ট আইনস্টাইন, অভিনেতা মাইকেল কেইন, সুরকার জোহান স্ট্রাউস। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পেতে পারেন। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। প্রেমিক-প্রেমিকার মনের আকাশে জমে থাকা কালো মেঘ আজ দূর হতে পারে। শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া সুখবর দিয়ে। বেকারদের কারও কারও জন্য আজ সুখবর আছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত হতে পারেন। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। চাকরিতে কারও কারও আটকে থাকা পদোন্নতির বিষয়ে নিষ্পত্তি হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া সুখবর দিয়ে। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার পক্ষে যেতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া সুখবর দিয়ে। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিস খঁুজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)কর্মস্থলে আপনার ওপর বসের সুনজর পড়তে পারে। পাওনা আদায় করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে পারেন। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিস খঁুজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুন।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)কর্মস্থলে পদস্থ ব্যক্তিদের আনুকূল্য পেতে পারেন। পাওনা আদায়ে প্রভাবশালী কারও সহযোগিতা পেতে পারেন। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। দূরের যাত্রা শুভ।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)শিক্ষার্থীদের কারও কারও বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীর আবির্ভাব ঘটতে পারে। আজ আপনার অর্থভাগ্য শুভ। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায় নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। তীর্থভ্রমণ শুভ।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)বিদেশযাত্রায় প্রবাসী আত্মীয়ের সহায়তা পেতে পারেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। জনসংযোগ ও প্রচারের কাছে সাফল্যের দেখা পেতে পারেন। যাত্রাপথে সতর্ক থাকুন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ। | 302,717 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:০০ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৩৪ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,বাংলাদেশ ভারত সিরিজ | null | ‘ভুল ভেন্যুতে বাংলাদেশকে খেলাচ্ছে ভারত’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1075529 | টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ব্যাপারে ভারতের ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বাংলাদেশ। ২০০০ সালের জুনে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সঙ্গে যোগসূত্র আছে ভারতের। বাংলাদেশে অভিষেক টেস্টটা এসে খেলে গিয়েছিল তারা। এর মধ্যে ২০০৪, ২০০৭, ২০১০ ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলে গেছে ভারত। বিভিন্ন ওয়ানডে টুর্নামেন্টেও। কিন্তু ১৭ বছর লাগল টেস্ট খেলতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাতে। ব্যাপারটি অবাক করে বিখ্যাত ক্রিকেট লেখক বোরিয়া মজুমদারকে। ইকোনমিক টাইমসে লেখা কলামে সে প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন।বোরিয়া মজুমদারের প্রশ্ন তুলেছেন, খুব শক্তিশালী দল না হওয়ার কারণেই কি এত দিন ভারত বাংলাদেশকে নিজেদের মাটিতে ডাকেনি? ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট হলে সেটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হবে না—এমন ভাবনাও কাজ করেছে বাংলাদেশকে আতিথ্য না দেওয়ার ব্যাপারে।এই ক্রিকেট লেখক অবশ্য বিশ্বাস করেন, সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ সেটি প্রমাণ করেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬০০ রানের কাছাকাছি করার ব্যাপারটিও উদাহরণ হিসেবে এনেছেন। তাঁর মতে, ফর্মের বিচারে এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়েও ভালো দল বাংলাদেশ। শক্তি ও সামর্থ্যে বাংলাদেশ নিজেদের প্রমাণ করে চলেছে ক্রিকেট বিশ্বে। তা ছাড়া ভারত-বাংলাদেশের লড়াই এখন অন্য রকম এক উত্তেজনাও ছড়িয়ে দেয় সমর্থকদের মধ্যে। যেটি আকর্ষণীয় এক লড়াই হয়ে উঠতে পারে।কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গির যে খুব পরিবর্তন হয়েছে, সেটি বিশ্বাস করেন না বোরিয়া মজুমদার। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে মাত্র একটি টেস্ট আয়োজনের ব্যাপারটি উদাহরণ হিসেবে দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝখানে আট দিনের ব্যবধান না রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টেস্ট বেশি খেলতে পারত ভারত। যদিও এটা সত্যি, ওয়ানডে আর টেস্ট দলের মধ্যে বাংলাদেশের সামর্থ্যের ব্যবধান অনেক। বোরিয়া মনে করেন, ভেন্যু হিসেবেও ভারত ভুল মাঠকে বেছে নিয়েছে। ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে সব মাঠে খেলানোর নীতি আছে বিসিসিআইয়ের। কদিন আগে কলকাতায় ম্যাচ হয়েছে, ফলে আবার এখনই এই মাঠে ম্যাচ বরাদ্দ তারা দেবে না। কিন্তু এই এক টেস্টের সিরিজের জন্য বিসিসিআই অন্য কিছু করতে পারব বলে মন্তব্য করেছেন বোরিয়া, ‘এখানেও বিসিসিআই একটা সহজ বুদ্ধি কাজে লাগায়নি মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য হায়দরাবাদে খেলা আর কলকাতায় খেলা এক নয়। এই ম্যাচ ইডেন গার্ডেনে হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কয়েক হাজার দর্শক চলে আসত ম্যাচ দেখতে। এমনিতেও টেস্টে যেখানে দর্শক হয় না এখন, তখন বোর্ড তার আবর্তন নীতির ব্যতিক্রম করতেই পারত দুই বাংলার সমর্থকদের কথা ভেবে।’বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি) বিসিসিআই-তোষণ থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বোরিয়া মজুমদার, ‘বাংলাদেশ বোর্ডকেও প্রশ্ন করতে হবে। বিসিসি কেন এমন সূচিতে রাজি হয়ে গেল। তারা তো আর ভারতের ওপর নির্ভরশীল নয় আইসিসি পর্যায়ে। তাদের দলও এখন বেশ মানসম্পন্ন। বরং সত্যিটা হলো ভারতীয় বোর্ড এখন ব্যাকফুটে আইসিসি তিন মোড়ল নীতির অবলোপন যখন হচ্ছে। বিসিবির জন্য এটাই ছিল নিজেদের জোর দেখানোর সুযোগ।’বোরিয়া এই বলে তাঁর লেখার শেষ টেনেছেন, ‘একটা মাত্র টেস্ট খেলার আসলে কোনো মানে হয় না। আবারও কবে ভারত বাংলাদেশকে খেলতে ডাকবে, সে-ই বা কে জানে!’ | 291,053 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা ও দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ অক্টোবর ২০১৪, ০২:৪১ | ০১ অক্টোবর ২০১৪, ০২:৪৪ | কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/334942 | ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামগামী একটি ট্রাকের চাপায় অজ্ঞাত এক মানসিক প্রতিবন্ধী পুরুষ (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মহাসড়ক পার হওয়ার সময় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। লাশ দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা এলাকায় গাড়িচাপায় অজ্ঞাত এক যুবক (৩০) নিহত হয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটায় মহাসড়কের পাশ থেকে ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রশান্ত পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। | 97,890 |
খুলনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০২:০৮ | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০২:০৯ | খুলনা বিভাগ,খুলনা,বিশাল বাংলা | 0 | তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/952867 | খুলনার স্কুলগুলোতে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি-পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে লটারির মাধ্যমে ভর্তিপ্রক্রিয়া চালু করার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। সব ধরনের ভর্তি পরীক্ষার কোচিং বন্ধ করা ও সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা পুরোদমে চালু করারও দাবি জানানো হয়।গতকাল শনিবার নগরের পিকচার প্যালেস মোড়ে ‘জন-উদ্যোগ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শহরের নামীদামি সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির নামে শিশুদের ওপর চলছে মানসিক নির্যাতন। ভর্তি কোচিংয়ের নামে চলছে কোচিং-বাণিজ্য। অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপে অভিভাবক ও শিশুরা পর্যুদস্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার, এই অধিকার বাস্তবায়িত করতে হবে।সংগঠনের আহ্বায়ক কুদরত-ই-খুদার সভাপতিত্বে ও খুলনা পোলট্রি ফিস ফিডের মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জন-উদ্যোগের সদস্যসচিব মহেন্দ্রনাথ সেন, সিপিবির মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদৎ, জাসদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন, সুজনের মহানগরের আহ্বায়ক লোকমান হাকিম, নারীনেত্রী শামীমা সুলতানা প্রমুখ। | 251,899 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুন ২০১৯, ১৬:৫৩ | ২৪ জুন ২০১৯, ১৩:৫০ | পরিবেশ,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ | 0 | বরেন্দ্র অঞ্চলে বাড়ছে মাটির ক্ষয় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1600712 | বরেন্দ্র অঞ্চলে মাটির ক্ষয় বাড়ছে। ভেঙে যাচ্ছে মাটির কাঠামো। আর কমে যাচ্ছে জৈব পদার্থ, সালফার, ফসফরাসসহ মাটির নানা উপাদান। এতে উর্বরাশক্তি হারাচ্ছে এ অঞ্চলের মাটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই পরিস্থিতির উন্নতি করা জরুরি।আজ রোববার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় মাটির এই অবস্থার কথা উঠে এসেছে। সেখানে বক্তারা বলেছেন, মাটির ক্ষয় যা হওয়ার হয়েছে, এখন থেকে একটুও হতে দেওয়া যাবে না।বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সম্মেলন কক্ষে ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূমির ক্ষয়, ভূমির ব্যবহার এবং টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা (এসএলএম)’ শীর্ষক এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের ‘স্টাব্লিশিং ন্যাশনাল ল্যান্ড ইউজ অ্যান্ড ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন প্রোফাইল টুওয়ার্ড মেইনস্ট্রেমিং এসএলএম প্র্যাক্টিস ইন সেক্টর পলিসিস (ইএনএএলইউএলডিইপি)’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ইএনএএলইউএলডিইপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কর্মশালায় এই চার দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা অংশ নেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমডিএর চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন চৌধুরী।কর্মশালায় বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটির ক্ষয়ের নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, গত ১০ বছরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাচোল, আমনুরা এবং নওগাঁর পোরশা উপজেলায় মাটির গুণগত মান খারাপ হয়ে গেছে। এ মাটিতে শতকরা মাত্র শূন্য দশমিক ৮ থেকে ১ দশমিক ৫ ভাগ জৈব পদার্থ রয়েছে। অনেক কমে গেছে ফসফরাস, সালফারসহ নানা উপাদানের পরিমাণ।কর্মশালায় আলোচকেরা বলেছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের বেশির ভাগ জমিতে আগে বছরে একবার ধান চাষ করা যেত। এখন বিএমডিএর গভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে বছরে তিনবার ধান চাষ করা যায়। কৃষকেরা চাষাবাদ বাড়িয়েছেন। কিন্তু নানা কারণে জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে মাটির ক্ষয় হচ্ছে। এই ক্ষয় মাটির কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। এখনই এটি রোধ করতে হবে। আর ইতিমধ্যে যে ক্ষতি হয়েছে, তার উন্নয়ন ঘটাতে হবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে।বক্তারা বলেন, দেশে প্রতিদিন খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু প্রতিবছর ৭০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে সাগরের দিকে মিঠা পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ছে। এতে নতুন নতুন এলাকার মাটি লবণাক্ত হয়ে যাচ্ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের হাওর অঞ্চলে বছরের বেশির ভাগ সময়ই চাষের মাটি পানির নিচে থাকে। কিন্তু বরেন্দ্র অঞ্চলে এসব সমস্যা নেই। তাই সারা বছরই ফসলের আবাদ করা যাবে। ফলে ক্রমবর্ধমান খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বরেন্দ্র অঞ্চলে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদ বাড়াতে হবে, যেন মাটির ক্ষয়রোধ করা যায়।কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএমডিএর চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, এখন বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেক বাসিন্দা বর্গাচাষিকে জমি ইজারা দিয়ে শহরে চলে যাচ্ছেন। তারপর কৃষক জমিতে কী করছেন, তা দেখার কেউ থাকে না। ফলে চাষাবাদের সুবিধার্থে চাষিরা বরেন্দ্রের উঁচু-নিচু মাটি কেটে সমান করে দিচ্ছেন। অনেকে জমির ওপরের উর্বর অংশ কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে মাটির ক্ষয় হচ্ছে। খনিজ পদার্থের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই কৃষকদের মধ্যে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে কৃষি সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ। সভাপতিত্ব করেন, ইএনএএলইউএলডিইপি প্রকল্পের পরিচালক মুহাম্মদ সোহরাব আলী। বক্তব্য দেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সরওয়ার জাহান, মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম প্রমুখ। | 407,111 |
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ২০:১৬ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০২ | নারায়ণগঞ্জ,অপরাধ,ছাত্রলীগ,আড়াইহাজার,ঢাকা বিভাগ,সন্ত্রাস,পুলিশ | null | আটক তরুণকে ছাড়িয়ে আনতে পুলিশ কর্মকর্তাকে পেটাল ছাত্রলীগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1589368 | নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আটক তরুণকে ছাড়িয়ে আনতে পুলিশ কর্মকর্তা মো. মামুনকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলায় পুলিশের গোপালদী তদন্তকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মো. মামুন গোপালদী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার পুলিশ সদস্য।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষার্থী দিদার ইসলামকে সন্দেহবশত গোপালদী বাজারের কলেজ রোড থেকে আটক করে পুলিশ। এ খবর পেয়ে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে গোপালদী তদন্তকেন্দ্রে যান। এ সময় পুলিশ দিদার ইসলামকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সুজয় পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এটিএসআই মো. মামুন প্রতিবাদ করলে সুজয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন। এ সময় সুজয় মুঠোফোনে কল দিলে মুহূর্তের মধ্যে ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এসে পুলিশের ওপর হামলা চালান। পরে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজয় ও দিদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় এটিএসআই মো. মামুন, কনস্টেবল আবুল বাশার ও ইমরান আহত এবং অপর এক পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁরা আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ আপন বলেন, ‘দিদার ইসলাম এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তাকে আটক করে। সে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে ছাড়িয়ে আনতে তদন্তকেন্দ্রে গেলে পুলিশ সুজয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।’গোপালদী তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে গোপালদী কলেজ রোড এলাকায় বখাটের উৎপাত বেড়েছে। তাই সেখানে পুলিশ ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। ডিউটি অবস্থায় পুলিশ একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখে দিদারকে আটক করে তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে আসে। যদি সে নির্দোষ হয়, তবে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে সুজয় ও তাঁর সহযোগীরা তদন্তকেন্দ্রে এসে হামলা চালান। | 398,322 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:৫৯ | ০২ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:৫৯ | অপরাধ | 0 | সোনা চোরাচালান মামলায় মালয়েশীয় নাগরিকের কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1012885 | সোনা চোরাচালান মামলায় রাজা বাসনিলা বিনতি রাজা মালেক (৫৪) নামের মালয়েশিয়ার এক নাগরিককে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার রায় ঘোষণার পর ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান।২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর ছয় কেজি সোনাসহ রাজা বাসনিলা বিনতি রাজা মালেককে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুব-এ-খোদা বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান তালুকদার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত গত বছরের ১১ মে এই আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন। এ মামলায় ১২ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি রাজা বাসনিলা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে ঢাকায় আসেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দরে গ্রিন চ্যানেলে তাঁর সঙ্গে থাকা মালামাল তল্লাশি করা হয়। পরে শুল্ক বিভাগের নারী সদস্যরা বাসনিলার কাছে সোনার ছয়টি বার পান। এক কেজি ওজনের ছয়টি সোনার বার বাসনিলা তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে বেঁধে নিয়ে এসেছিলেন। রাজা বাসনিলা মালয়েশিয়ার নাগরিক হলেও ২০০১ সালে তিনি বিয়ে করেন এক বাংলাদেশিকে। | 261,544 |
শাকিলা হক | economy | অর্থনীতি | ১০ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:১২ | ১০ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:৩৯ | -1 | 0 | সেপ্টেম্বরে কমেছে রপ্তানি আয় | http://www.prothom-alo.com/economy/article/997867 | আবারও হোঁচট খেল রপ্তানি আয়। চলতি অর্থবছরের আগস্টে ঘুরে দাঁড়ালেও সেপ্টেম্বরে এসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছে ২২৪ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে দেশে মোট রপ্তানি আয় ছিল ২৩৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সেপ্টেম্বরে কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০৭ কোটি ৮৮ লাখ ডলারে; যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭৭৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।গত সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় ২৫০ কোটি ১৩ লাখ ডলার এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে মোট ৭৩৪ কোটি ৫১ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় আসে ৬৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ অর্থবছর হিসেবে প্রথম তিন মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। শুধু গত আগস্টেই তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় আসে ২৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলারের।সেপ্টেম্বরে ঈদুল আজহার কারণে বেশ কিছুদিন ছুটি থাকায় রপ্তানি আয়ে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এটা প্রত্যাশিতই ছিল।বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে আমাদের দেশে দুটো ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে। ঈদের কারণে শ্রমিকদের বেশ লম্বা একটা সময়ের ছুটি ছিল। এ ছাড়া ঈদের জন্য কিছু অর্ডার জুনে হয়ে যায়। এ কারণে জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমেছে। তবে গত বছরের একই সময়েও আমরা দুটি ঈদ উদ্যাপন করেছিলাম। সেই হিসেবে তিন মাসে আগের অর্থবছরের তিন মাসের তুলনায় ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আছে। অর্থাৎ এটা খুব বেশি আশাব্যঞ্জক না হলেও ভালো। তবে সাড়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার বিবেচনায় বেশ নিচে।’গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, সারা বিশ্বেই বর্তমানে অর্থনীতিতে একটি শ্লথগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। চীনে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমেছে। অন্য দেশেও প্রবৃদ্ধি বেশি ইতিবাচক ধারায় নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের সরে আসার সিদ্ধান্ত (ব্রেক্সিট), পাউন্ডের দর পতন সব মিলিয়ে বৈশ্বিক হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ভালো। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ভালো অবস্থানে আছে।তবে ‘নন ট্র্যাডিশনাল মার্কেটে’ আমাদের রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন তিনি।অন্য পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে তিন মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ২০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। তা ছাড়া এ তিন মাসে প্লাস্টিক পণ্য থেকে ২ কোটি ১৯ লাখ ডলার রপ্তানি আয় এসেছে।২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) দেশে মোট রপ্তানি আয় হয় ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ডলার। | 254,718 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৪৫ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৪৯ | হলিউড | 0 | বিয়ে পেছালেন গিউয়েন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1407816 | সংগীতশিল্পী গিউয়েন স্টেফানি তাঁর বিয়ে পেছালেন। কথা ছিল, আগামী জুনে প্রেমিক সংগীতশিল্পী ব্লেক শেলটনকে বিয়ে করবেন তিনি। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে ভাবছেন ৪৮ বছর বয়সী এই গায়িকা। কারণ, প্রেমিক ব্লেকের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। নারীদের সঙ্গে ব্লেকের ঘনিষ্ঠ মেলামেশা গিউয়েনকে ভাবাচ্ছে।সম্প্রতি লাইফ অ্যান্ড স্টাইল নামের একটি মার্কিন সাময়িকী গিউয়েনের বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার খবরটি প্রকাশ করে। মার্কিন এই গায়িকার কাছের এক বন্ধু খবরটি সাময়িকীকে জানান। যদিও গিউয়েনের অনাস্থার বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী ব্লেক।গায়িকা গিউয়েন স্টেফানি তিন সন্তানের মা। তাঁর সাবেক স্বামী গেভিন রোজডেল তাঁদেরই এক গৃহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এটা জানার পরপরই গিউয়েন ও গেভিনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সম্পর্কে প্রতারণার বিষয়টি গিউয়েনকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। এ জন্যই গেভিনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করবেন না বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন গিউয়েন। কিন্তু ‘দ্য ভয়েজ’ রিয়েলিটি শোর সেটে গিয়ে তিনি ব্লেক শেলটনের প্রেমে পড়েন এবং নিজের সিদ্ধান্ত বদলান। তাঁদের বাগদানও হয়। কিন্তু ইদানীং দ্য ভয়েজ অনুষ্ঠানেরই এক গায়িকার সঙ্গে ব্লেকের ঘনিষ্ঠ মেলামেশা আবারও পুরোনো প্রতারণার স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে গিউয়েনকে। তাই ব্লেককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধায় আছেন এই মার্কিন গায়িকা। আপাতত জুনে বিয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন তিনি। ব্লেকের প্রতি পূর্ণ আস্থা না আসা পর্যন্ত বিয়ের নতুন তারিখ জানা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গিউয়েনের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ইয়াহু | 351,291 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৩ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:০৫ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহাল চিত্র | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1396216 | ২০০৮ সালে সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে যুক্ত হয়। ২০১৫ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিলর নির্বাচন। কিন্তু এখনো ওয়ার্ডটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চিত্র বেহাল। বাসাবাড়ির বর্জ্য নিয়মিত সংগ্রহ করা হয় না। এতে ওয়ার্ডটির অলিগলিতে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ হয়ে আছে।সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নের ওই দুটি ওয়ার্ড বর্তমানে ডিএসসিসির ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড। সিরাজনগর, নবীনগর, টেকেরহাটি, জান্নাতবাগ, আমিনবাগ, মঞ্জুরবাগ, হাসাননগর, মুন্সিহাটি, নয়াগাঁও, হজরতনগর, মাহাদীনগর, ঝাউচর, ঝাউচর মডেল টাউন এলাকা নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। জনসংখ্যা তিন লক্ষাধিক। কিন্তু তাদের জন্য ওয়ার্ডটিতে কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক, খেলার মাঠ, নগর মাতৃসদন নেই। অন্যদিকে ওয়ার্ডে আছে মশা, মাদকসেবীদের উপদ্রব, গ্যাস-সংকট। এ ছাড়া ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটও ভাঙাচোরা।গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকাগুলো ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।বর্জ্য ব্যবস্থাপনাগতকাল দুপুর ১২টায় কামরাঙ্গীরচরের পশ্চিম হাসাননগরের একটি চায়ের দোকানে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন, মো. সবুজ ও হারুণের সঙ্গে। ওয়ার্ডের প্রধান নাগরিক সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতার বিষয় ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা। একই কথা বলেছেন জান্নাতবাগের আল আমীন, সিরাজনগরের কামরুল ইসলাম ও নবীনগরের মাহফুজ। তাঁরা ওয়ার্ডে যথেষ্ট পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।আল আমীন বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছে আড়াই বছর আগে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ওয়ার্ডে যথেষ্ট পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে রাস্তাঘাটে আবর্জনা জমে আছে। বাতাসেও ব্যাপক ধুলাবালি ওড়ে। তিনি বলেন, ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের কোনো ডাস্টবিন বা কনটেইনার নেই। এতে মহল্লার মানুষ, বাসাবাড়ির বর্জ্য যত্রতত্র ফেলছেন। এর মধ্যে পশ্চিম হাসান নগরে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পরিত্যক্ত জায়গায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উঁচু পরিমাণ বর্জ্য জমে আছে।গতকাল দেখা যায়, পশ্চিম হাসাননগরের ওই বর্জ্যের স্তূপ ঘেঁষে খেলাধুলা করছে মহল্লার শিশু-কিশোরেরা। অথচ আবর্জনার স্তূপ থেকে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া ওয়ার্ডের সব রাস্তাঘাটে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে আছে। কোথাও ওয়েস্টবিন, ডাস্টবিন, কনটেইনার বা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন দেখা যায়নি। তবে হাসাননগরে আবু সাঈদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে পরিত্যক্ত একটি ওয়েস্টবিন দেখা গেছে। সেটি ছিল আবর্জনায় ঠাসা।নেই নগর মাতৃসদনমা-শিশুদের জরুরি সেবা দিতে ডিএসসিসির অধিকাংশ ওয়ার্ডে আছে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু ডিএসসিসির ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় নাগরিকেরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। তাই অবিলম্বে এই ওয়ার্ডে একটি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।হাসাননগরের বাসিন্দা আলিফুর রহমান বলেন, ডিএসসিসির এই ওয়ার্ডে সরকারি হাসপাতাল নেই। পাশের ওয়ার্ডে (৫৬ নম্বর) একটি থাকলেও সেটি উদ্বোধন হয়নি। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালের মানও ভালো না। এতে মহল্লার কেউ অসুস্থ হলে বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের। তিনি সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান।কমিউনিটি সেন্টারকামরাঙ্গীরচরে সিটি করপোরেশনের কমিউনিটি সেন্টার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এই ওয়ার্ডে তিন লক্ষাধিক লোকের বাস। ভাড়াটেরা সাধারণত নিম্নমধ্যবিত্ত। এতে বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠান করা তাঁদের জন্য কষ্টসাধ্য। তাই এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনকেই উদ্যোগ নিতে হবে।মশার উপদ্রবকয়েক মাস ধরে ডিএসসিসির ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝাউচরের বাসিন্দা আবদুল্লা আল মতিন বলেন, ওয়ার্ডের উত্তর পাশে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল। এটি ময়লা-আবর্জনায় ভরা। অন্যদিকে বুড়িগঙ্গা নদী। সেটির পাড়েও ময়লা-আবর্জনা। এ থেকে মশা বাড়ছে। কিন্তু ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনকে মশার ওষুধ ছিটাতে দেখা যায় না। তিনি বলেন, আগে বছরে একবারও মশার ওষুধ ছিটানো হতো না। গত বছর চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ায় কয়েক দিন মশার ওষুধ ছিটাতে দেখা গেছে। এরপর আর তাদের দেখা নেই।গ্যাস-সংকটকয়েক বছর ধরে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে গ্যাস-সংকট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস থাকে না। এতে তাঁদের রান্নাবান্না করতে অনেক কষ্ট হয়। বিষয়টি তিতাসকে জানানো হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।‘৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নর্দমা সংস্কার করেছি’২০১৫ সালের নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন নুরে আলম। গতকাল তাঁর ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।প্রথম আলো: আপনার ওয়ার্ডের সব রাস্তাই ময়লা-আবর্জনায় ভরা। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না কেন?কাউন্সিলর: আমার ওয়ার্ডে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। যে কারণে এই অবস্থা। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ২০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে সাময়িকভাবে আমার ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দিনে গড়ে ১০ থেকে ১২ জন কাজ করেন। বাকিরা ফাঁকি দেন। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আমার ওয়ার্ডে স্থায়ীভাবে ৬০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দেওয়ার কথা। তাঁরা সবাই একযোগে কাজ করলে ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন থাকবে।প্রথম আলো: আপনার ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন?কাউন্সিলর: একটি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করতে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনের বরাবর আবেদন জমা দেওয়া আছে। মেয়র তা অনুমোদন দিলে মহল্লার মানুষ সহজেই স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।প্রথম আলো: কমিউনিটি সেন্টার স্থাপনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?কাউন্সিলর: আমার ওয়ার্ডে ফাঁকা জায়গা নেই। তাই নাগরিকদের অনেক চাহিদাই পূরণ করতে পারছি না। তারপরও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ডিএসসিসিতে আবেদন করা হয়েছে।প্রথম আলো: আপনার ওয়ার্ডে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হয় না বলে অভিযোগ আছে।কাউন্সিলর: আমার ওয়ার্ডের সব পাড়া-মহল্লায় নিয়মিতই মশার ওষুধ ছিটানো হয়। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।প্রথম আলো: গ্যাস-সংকটের সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?কাউন্সিলর: গ্যাস-সংকটের বিষয়টি আমি স্থানীয় সাংসদকে জানিয়েছি। তিনি তিতাসকে জানিয়েছেন।প্রথম আলো: গত আড়াই বছরে আপনার ওয়ার্ডের উল্লেখযোগ্য কী কী উন্নয়নকাজ হয়েছে?কাউন্সিলর: আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়ার্ডে ৫০ কিলোমিটারের বেশি সড়ক ও নর্দমা সংস্কার করেছি। কিছু সড়কের সংস্কারকাজ এখনো চলছে। প্রতিটি সড়কে এলইডি বাতি লাগিয়েছি। এটাই আমার বড় সফলতা। | 349,461 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০২ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৪ | ০২ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৪৯ | এশিয়া | 0 | প্রশাসককে পদত্যাগের সময় বেধেঁ দিল আন্দোলনকারীরা | http://www.prothom-alo.com/international/article/335290 | হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী ছাত্রনেতারা সেখানকার প্রশাসক লিউং চুন-ইংকে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলো অবরুদ্ধ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তাঁরা গতকাল বুধবার সতর্ক করে দিয়েছেন। খবর এএফপি, এপি, রয়টার্স ও বিবিসির।চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের কেন্দ্রস্থলে গতকাল হাজার হাজার মানুষ টানা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভে যোগ দেয়। গতকাল ছিল চীনের ৬৫তম জাতীয় দিবস। ১৯৪৯ সালের এই দিনে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ এবং বিক্ষোভকারীরা দিবসটি উদ্যাপন করে। আন্দোলনের নেতারা চীনের পতাকা উত্তোলন কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। বিক্ষোভস্থলের পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবিতে অটল রয়েছেন। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। চীনের কর্তৃপক্ষ আবারও এ আন্দোলনের নিন্দা জানিয়েছে। আর মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে, হংকংয়ের বিক্ষোভের প্রতি সমর্থনকারী বেশ কয়েকজনকে চীনের মূল ভূখণ্ডে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হংকংয়ের নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সেখানকার বেইজিংপন্থী সরকার চাপের মুখে পড়েছে। লিউং চুন-ইং গতকাল জাতীয় দিবসের বক্তব্যে বলেন, সব সম্প্রদায়ের মানুষ সরকারকে ‘শান্তিপূর্ণ, আইনসংগত, যৌক্তিক ও প্রায়োগিক’ সহায়তা দেবে বলে তাঁরা আশা করেন। এতে করে সাংবিধানিক অগ্রগতির পথে বড় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারী ছাত্রদের সংগঠন স্কলারিজমের মুখপাত্র অস্কার লেই বলেন, তাঁরা চীনের ৬৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করছেন না। তিনি মনে করেন, চলমান রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং চীনে মানবাধিকারকর্মীদের ওপর অব্যাহত নিপীড়নের মধ্যে দিনটি উৎসবের উপলক্ষ নয়, বরং বিষাদময়।হংকংয়ের নতুন প্রশাসক নির্বাচন প্রশ্নে গত মাসে চীনের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদের জন্য ২০১৭ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থীদের আগে বেইজিং মনোনীত করবে।বৃহত্তর নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রনেতারা চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো প্রতিনিধি বা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। হংকং ফেডারেশন অব স্টুডেন্টসের নেতা লেস্টার শাম বলেন, চীনের প্রতিনিধিরা চত্বরে এসে গণমানুষের উদ্দেশে কথা বলতে পারেন। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠন এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে না। যুক্তরাজ্য ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের হাতে ফিরিয়ে দেয়। এর পর থেকে সেখানে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ নোবেলবিজয়ী ডেসমন্ড টুটু গতকাল হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি আন্দোলন দমনের চেষ্টার জন্য পুলিশের নিন্দা করেন। এ ছাড়া চীনের প্রতি ‘নিজের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ভয় না পাওয়ার’ আহ্বান জানান। | 98,332 |
কবির বকুল | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৩৮ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৪০ | -1 | 0 | বিজয়ের মুহূর্তে রচিত গান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1035315 | মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক প্রবল সৃষ্টিশীল সময়। গানে, কবিতায়, ছবি আঁকায়, সিনেমায় মানুষের সৃজনশীলতার শতমুখী স্ফুরণ ঘটেছিল ওই উত্তাল সময়েও। এ রকমই কিছু সাংস্কৃতিক সৃষ্টির কথা—১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা বিকেলে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে ঘোষণা করেন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এর পরপরই অজিত রায়ের নেতৃত্বে সমবেত কণ্ঠে রেডিওতে বেজে ওঠে একটি গান, ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ/ খুশির হাওয়া ঐ উড়ছে/ বাংলার ঘরে ঘরে/ মুক্তির আলো ঐ ঝরছে’। বিজয়ের মুহূর্তে রচিত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত শেষ গান ছিল এটি।এই গানের সুরস্রষ্টা সুজেয় শ্যাম। এই গানের জন্মকাহিনি জানতে গত ২৮ নভেম্বর ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে গিয়ে হাজির হই তাঁর কাছে। ওখানে নতুন একটি দেশের গানের সুর তিনি তুলে দিচ্ছিলেন শিল্পী শাহীন সামাদকে। মহড়া শেষে কথা হয় সুজেয় শ্যামের সঙ্গে।বিজয় দিবসের ওই বিশেষ দিনটির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে সুজেয় শ্যাম বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর সকাল। বালিগঞ্জের সার্কুলার রোডে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অফিসে গেছি। কিছুক্ষণ পরই আমাকে ডেকে পাঠালেন বেতারের দুই কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান ও তাহের সুলতান। তাঁরা বললেন, আজ অন্য সব গান বাদ। আজ বিজয়ের গান করতে হবে। আমি বললাম, নতুন গান কোথায় পাব? তাঁরা বললেন, শহীদুল ইসলামকে বলেন, তিনি লিখে দেবেন।’ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনী তখনো আত্মসমপর্ণ করেনি। কিন্তু নির্দেশনা এসেছে বিজয়ের গান করার। সুজেয় শ্যাম তখন গীতিকার শহীদুল ইসলামকে বললেন দ্রুত গান লিখে দিতে। কিছুক্ষণের মধ্যে গানের স্থায়ীটুকু লিখে দিলেন তিনি।স্মৃতিচারণায় সুজেয় শ্যাম বলেন, ‘গানের প্রথম চার লাইন পেলাম। কিন্তু সমস্যা হলো, সুর করব কীভাবে। হারমোনিয়াম ভাগে পাওয়া যাচ্ছে না। মুখে মুখেই সুর করার চেষ্টা করলাম। অবশেষে হারমোনিয়াম পাওয়া গেল। এরপর অল্প সময়েই মুখটুকু সুর করে ফেললাম। শহীদুল ইসলাম অন্তরা দুটিও দ্রুত লিখে দিলেন।’এই গানের শিল্পী ছিলেন কারা, জানতে চাই। ‘মুখটুকু সুর করার পর মনে হলো এটি শিল্পী অজিত রায় যদি নেতৃত্ব দেন, তাহলে ভালো হয়। তাঁকে গিয়ে বললাম, গানটি আপনাকে লিড দিতে হবে। তিনি রাজি হলেন। মহড়াকক্ষে তখন সমবেত কণ্ঠে গাওয়া এই গানের বাকি শিল্পীরাও উপস্থিত। রথীন্দ্রনাথ রায়, প্রবাল চৌধুরী, তিমির নন্দী, রফিকুল আলম, মান্না হক, মৃণাল কান্তি দাস, অনুপ ভট্টাচার্য, তপন মাহমুদ, কল্যাণী ঘোষ, উমা খান, রূপা ফরহাদ, মালা খুররমসহ আরও অনেকে। দেড় ঘণ্টার মধ্যে সুর, মহড়া সব শেষ। এরপর রেকর্ড করি।’সেদিন এই গানে তবলা সংগত করেছিলেন অরুণ গোস্বামী, দোতারায় অবিনাশ শীল, বেহালায় সুবল দত্ত, গিটারে ছিলেন রুমু খান।ওই দিন (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে আসেন প্রবাসী সরকারের চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান। তখনই উপস্থিত সবাই জানতে পারেন, ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি হানাদারেরা আত্মসমর্পণ করেছে।স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত সুজেয় শ্যামের আরেকটি গান ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি বাংলাদেশের নাম’ তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। গীতিকার আবুল কাশেম সন্দীপ। ওখানে এটা ছিল তাঁর সুরারোপিত তৃতীয় গান। ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি বাংলাদেশের নাম’ গানটির কাহিনি জানতে চাইলে সুজেয় শ্যাম পেছনে ফিরে যান, ‘কলকাতার বালিগঞ্জে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয় ২৫ মে ১৯৭১ সাল থেকে। আমি সংগীত পরিচালক হিসেবে সেখানে যুক্ত হই জুন মাসের মাঝামাঝি। এর আগে সেখানে বাজত আবদুল আহাদ, আবদুল লতিফের পুরোনো গানগুলো। সমর দাস আর আমি যোগ দেবার পর আমাদের ওপর দায়িত্ব পড়ল নতুন গান করার। তখন ১৫ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান প্রায় প্রতিদিন হতো। সেখানে দুটি পুরোনো গান আর একটি নতুন গান থাকত। একদিন স্টুডিওর দোতলা থেকে নামছি। সিঁড়িতে একজন ভদ্রলোক আমাকে থামিয়ে বললেন, “দাদা, আমি একটা গান লিখেছি। আপনি যদি সুর করতেন।” ভদ্রলোকের নাম আবুল কাশেম সন্দীপ। তিনি আমার হাতে তুলে দিলেন “রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি” গানটি। প্রথম পড়েই গানের কথাটা আমার ভীষণ ভালো লাগল। তখনই হারমোনিয়াম নিয়ে সুর করতে বসে গেলাম। কিন্তু সুর মনঃপূত হয় না। বাড়ি গিয়ে গানটি নিয়ে আবার বসলাম। কিন্তু হলো না। দুদিন গেল। যেদিন রেকর্ডিং, সেদিন স্টুডিওর মহড়াকক্ষে হারমোনিয়াম নিয়ে বসতেই সুরটা এসে গেল। ১৫ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে গেল এই গানটি। সমবেত কণ্ঠে গাওয়া গানটিতে সেদিন কণ্ঠ দিয়েছিলেন রথীন্দ্রনাথ রায়, প্রবাল চৌধুরী, তিমির নন্দী, রফিকুল আলম, মৃণাল কান্তি দাস, অনুপ ভট্টাচার্য, তপন মাহমুদ, কল্যাণী ঘোষ, উমা খানসহ আরও অনেকে। এরপর এটি হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণার গান।’৭১ বছর বয়সী সুজেয় শ্যাম এমনভাবে স্মৃতিচারণা করছিলেন যেন ৪৫ বছর আগের নয়, এই সেদিনের ঘটনা। এখনো তিনি যেন ২৬ বছরের সেই তরুণ। এখনো অনবদ্য সব সুর সৃষ্টি করে যাচ্ছেন এই সুরস্রষ্টা। | 272,111 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৫৪ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৫৬ | এশিয়া | null | চীনের সাগর সেতুতে প্রথম যাত্রা | http://www.prothom-alo.com/international/article/1562497 | বিশ্বের দীর্ঘতম সাগর সেতুতে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। চীনের এই সেতু দেশটির মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে হংকং ও ম্যাকাওয়ের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার চীনের হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ সর্বসাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়। আজ সকালে যাত্রী ও ভ্রমণকারীরা হংকংয়ের আন্তসীমান্ত বাস টার্মিনালে জড়ো হন। এ সময় বাস পরিচালকেরা তাঁদের বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করেন।৫৮ বছর বয়সী অ্যাংগি চেং এসেছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে। ম্যাকাও যেতে বাসে উঠেছেন তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি বাসে চড়তে চাই আর দেখতে চাই, এটা কতটা সুবিধাজনক। বাইরের মনোরম দৃশ্যও উপভোগ করতে চাই আমি। হাজার হলেও এটি ঐতিহাসিক প্রকৌশল প্রকল্প।’এই সেতু দিয়ে ম্যাকাও ও হংকংয়ের যাত্রী আর যানবাহনগুলো সরাসরি বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবে। চীনের নদী পার্ল রিভারের ওপর দিয়ে সেতুটি সমুদ্র পার হয়ে চলে গেছে ওপারে। হংকং থেকে ম্যাকাওয়ে সড়কপথে যাতায়াতে তৈরি এ সেতু ৫৫ কিলোমিটার (৩৪ মাইল) দীর্ঘ। যাত্রাপথে সেতুটি আরও ১১টি বড় শহরকে যুক্ত করেছে। দক্ষিণ চীনের ৫৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ এ সেতুর সুবিধা পাবে। এ সেতু চালু হওয়ায় হংকং ও ম্যাকাওয়ের মধ্যে দূরত্ব আড়াই ঘণ্টা কমে এসেছে। আগের তিন ঘণ্টার পথ এখন আধা ঘণ্টায় যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া ঝুহাই যেতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিট, আগে যেখানে ৪ ঘণ্টা লাগত। হংকং থেকে ঝুহাই যেতে মাত্র ১০ হাজার ব্যক্তিগত গাড়িকে সেতু পারাপারের লাইসেন্স দেওয়া হবে। বাকিরা বাসে যাতায়াত করতে পারবেন। সেতুর দুই পাশে কাস্টমস পার হয়ে যেতে হবে পর্যটকদের।সমর্থকেরা এই সেতুকে বিশ্বের প্রকৌশল খাতের বিজয় বলে আখ্যায়িত করলেও সমালোচনাও কম হচ্ছে না। সমালোচকেরা বলছেন, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্যই এই ব্যয়বহুল ‘সাদা হাতি’ তৈরি হয়েছে। বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা এর মাধ্যমে আধা স্বায়ত্তশাসিত হংকংকে মূলভূমিতে যুক্ত করা। | 380,459 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ১৩:৪৪ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ১৮:২৮ | রাজনীতি | null | আম ও আমলকী এক নয়: সুরঞ্জিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/76450 | আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘অনেকেই বলে বিএনপি এককভাবে নির্বাচন করে ১৫ দিন টিকে ছিল। আর আওয়ামী লীগ ১৫ ঘণ্টাও টিকবে না। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আম ও আমলকী এক নয়। বিএনপির মতো আওয়ামী লীগের অবস্থা হবে না।’আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এসব কথা বলেন। নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী এ সভার আয়োজন করে।এরশাদের মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘তাঁর মহাজোট ছাড়ার ঘোষণার পর বিকেলে জাতীয় পার্টি থেকে যে সদস্যরা মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিচ্ছেন, এর পর এটাকে আর দলীয় বা মহাজোট মন্ত্রিপরিষদ বলার সুযোগ নেই।’বিএনপির ওপর ক্যাডারভিত্তিক দল জামায়াত ভর করেছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচন আর আসবে না। ককটেল-বোমা ফাটিয়ে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না।সুরঞ্জিত বলেন, বিকেলে মন্ত্রিপরিষদের শপথ হওয়ার পরপরই নির্বাচনী সময় শুরু হয়ে যাবে। কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনও তফসিল ঘোষণা করবে। আওয়ামী লীগও নির্বাচনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। অন্যান্য দলও নির্বাচনমুখী হয়েছে। ফলে বিরোধী দলের ওপর এখন মানসিক চাপ তৈরি হবে। তিনি বিএনপিকে সর্বদলীয় সরকারে এসে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।সর্বদলীয় সরকার একটি তামাশা মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের বিষয়ে সুরঞ্জিত বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন খুবই উত্তাল। সকালের ঘটনা বিকেলেই পাল্টে যাচ্ছে। তবে সর্বদলীয় সরকার কারও কাছে তামাশা, কারও কাছে ভরসা। যথা নিয়মে নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেবেন ও দেশ পরিচালনা করবেন। | 28,728 |
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪০ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪২ | লক্ষ্মীপুর,বিশাল বাংলা,চট্টগ্রাম বিভাগ,রাজনীতি | 0 | বিক্ষোভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/424450 | লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। দুপুরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। বক্তারা অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। কমিটি বাতিল করা না হলে আন্দোলন চলবে। গত শনিবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। | 106,930 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৪ | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৪ | -1 | 0 | প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন বাতিল চায় হেফাজত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/838024 | প্রস্তাবিত ‘শিক্ষা আইন-২০১৬’ বাতিল করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ স্কুলের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ধর্মবিদ্বেষী শিক্ষানীতি ও আইন গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর দাবি, স্কুলের পাঠ্যবইয়ে মুসলিম ব্যক্তিদের জীবনী বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ যোগ করা হয়েছে। এই শিক্ষানীতি ও আইন দ্রুত বাতিল করতে হবে।সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতা আবদুর রব ইউসুফী, আহমদ আবদুল কাদের, মুজিবুর রহমান হামিদী, ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।হাটহাজারীতে বিক্ষোভ: জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ডাকবাংলো চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী অভিযোগ করেন, জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় সরকার ধর্মীয় শিক্ষাকে শুধু সংকোচনই করেনি, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম সংস্কৃতির গল্প, রচনা ও কবিতা বাদ দিয়ে নাস্তিক্যবাদী রচনা, গল্প, কবিতা যুক্ত করেছে।প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে আনাস মাদানী বলেন, ‘আপনি বহুবার বলেছেন, কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন করবেন না, মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চালাবেন। এমন বক্তব্যের প্রতি আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান, হিন্দুত্ববাদী গল্প, কবিতা বাদ দিয়ে অবিলম্বে স্কুল পাঠ্যবই সংশোধনে পদক্ষেপ নিন। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় আদর্শের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন চালু করুন।’হেফাজতে ইসলামের নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়জীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুনির আহমদ, মীর মুহাম্মদ ইদরিস প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়।ছাত্র মজলিস: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের এক কর্মশালায় গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ‘ইসলাম-বিধ্বংসী পাঠ্যপুস্তক’ বাতিল করে অভিজ্ঞ ওলামা-কেরামদের সমন্বয়ে শিক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানান। | 222,847 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৫০ | ০৩ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৫০ | চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা | 0 | পাল্টা কমিটি করার ঘোষণা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/64135 | চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতার পরামর্শে নগর ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছেন পদবঞ্চিত ছাত্রনেতারা।কাল ৪ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রঘোষিত কমিটি বাতিল করা না হলে এই পাল্টা কমিটি করা হবে। তবে নেতারা তাঁদের এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করেন।গতকাল শনিবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা এ ঘোষণা দেন। নগর আওয়ামী লীগের অপর দুই নেতা হলেন মন্ত্রী আফছারুল আমীন ও আ জ ম নাছির উদ্দিন। এই তিন নেতার পরামর্শে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।তাঁদের দাবিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।’মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আফছারুল আমীনকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। তাই বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য বুখারি আজম অভিযোগ করেন, কেন্দ্রঘোষিত কমিটির বেশির ভাগ নেতা চাঁদাবাজ, বিবাহিত, সন্ত্রাসী ও অছাত্র। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কে কে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, তা জানাতে পারেননি তাঁরা। শুধু সভাপতি ইমরান আহমেদ বিবাহিত বলে জানানো হয়।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিন ও আরশেদুল আলম বাচ্চু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই ছাত্রলীগের কমিটিতে অছাত্রদের ঢুকিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ-সম্পর্কিত কোনো তথ্যপ্রমাণ দেখাতে পারেননি। ৪ নভেম্বরের মধ্যে কমিটি বাতিল করা না হলে পাল্টা কমিটি করা হবে বলে জানান বুখারি আজম। গত বুধবার কমিটি ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আবেগের বশে কেউ কেউ করে ফেলেছেন।এদিকে নবগঠিত নগর ছাত্রলীগের কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে উল্লেখ করে এই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতারা। পত্রিকা অফিসে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এ দাবি জানান। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি এম আর আজিমের নাম। রেলওয়ের দরপত্র নিয়ে গোলাগুলির ঘটনায় যুবলীগের অভিযুক্ত নেতা হেলাল আকবর চৌধুরীর নামও বিবৃতিতে রয়েছে। | 25,071 |
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ মার্চ ২০১৬, ০১:৩৯ | ০১ মার্চ ২০১৬, ০১:৪০ | বিশাল বাংলা | 0 | বস্ত্র মেলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/784897 | রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজমাঠ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী বস্ত্র ও কারুপণ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাংসদ কাজী কেরামত আলী মেলার উদ্বোধন করেন। গোয়ালন্দ পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহাবুব রাব্বানী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নুরুজ্জামান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল, কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ। | 206,581 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৩ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৩ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | মহেশখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/424060 | কক্সবাজারের মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গত রোববার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জয়নাব আরা বেগম, তসলিমা বেগম ও আনোয়ার পাশা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন।প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছে। আর ২০২১ সালে শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে একদিনে ৩০ কোটি বই উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পর্যায়ক্রমে এই বিদ্যালয়কে কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেন।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এম আজিজুর রহমান, ওমরা মিয়া সিকদার, মো. জহির উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, নাজেম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, সাধন চন্দ্র দে, লিপি গুহ, সন্তোষ কুমার দত্ত, সিদুল কান্তি দে, আব্দুল মান্নান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। —মহেশখালী প্রতিনিধি | 107,059 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৫ মে ২০১৫, ০২:৩৬ | ০৫ মে ২০১৫, ০২:৩৮ | খেলা,দেশের ক্রিকেট | null | চোট ছিটকে দিল রুবেলকে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/519865 | লম্বা সিরিজের শেষ দিকে অনেক সময়ই চোটাঘাতের ধাক্কা লাগে। সেটাই বুঝি লাগল বাংলাদেশ দলের গায়ে! সিরিজের শেষ টেস্টের আগে একসঙ্গে চোটাক্রান্ত বাংলাদেশ দলের তিন ক্রিকেটার—মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও রুবেল হোসেন। এঁদের মধ্যে পেসার রুবেল কাল সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন। তাঁর জায়গায় ঢাকা টেস্টের দলে নেওয়া হয়েছে আরেক পেসার আবুল হাসানকে।খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিনে বোলিং করার সময় শরীরের এক পাশে ব্যথা অনুভব করেন রুবেল। কাল সে জায়গার স্ক্যান করা হলে ধরা পড়ে সমস্যা। জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘শরীরের বাঁ দিকে গ্রেড-১ পর্যায়ের ব্যথা আছে তাঁর। এ ধরনের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লেগে যায়। কয়েক দিনের মধ্যেই রুবেলের পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া শুরু হবে।’মুশফিক-তামিমের ব্যথাও প্রথম টেস্ট থেকেই। খুলনায় প্রথম ইনিংসে মুশফিক ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পান ডান হাতের অনামিকায়। পুরো ম্যাচেই আর পরে কিপিং করতে পারেননি। তবে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। আর তামিম পায়ে চোট পান জুনাইদ খানের ইয়র্কারে। সেই থেকে তামিমের ডান পায়ের আঘাতপ্রাপ্ত স্থান আর মুশফিকের ডান হাতের অনামিকায় টেপ বাঁধা।বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী অবশ্য জানিয়েছেন, মুশফিকের অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো, ‘ওর ব্যাটিং করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে মুশফিককে কিপিং থেকে যতটুকু সম্ভব বিশ্রাম দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশ দলের একটি সূত্রও আভাস দিয়েছে, দ্বিতীয় টেস্টে মুশফিক শুধু একজন ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কিপিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকায় ঢাকায় কাল টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে লিটন দাসের। তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিতে দলের বাইরে চলে যেতে পারেন শুভাগত হোম চৌধুরী।তামিমের চোট নিয়ে অবশ্য খোলামেলা কথা বলতে রাজি হননি কেউই। দেবাশিস চৌধুরী ‘ওর অবস্থা আগের চেয়ে ভালো’ বললেও তাতে চিত্রটা পুরোপুরি পরিষ্কার হচ্ছে না। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় টেস্টে খুব সামান্য হলেও সংশয় আছে তামিমের খেলা নিয়েও। প্রথম টেস্টের পর যেহেতু তামিমকেই বেশি ভয় পাওয়ার কথা পাকিস্তান দলের, তাঁর চোটসংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে চাচ্ছে না বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষকে যতটা সম্ভব অন্ধকারেই তো রাখা ভালো! | 136,390 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:০৩ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:০৮ | -1 | null | জান্নাতবাগের সবুজ চত্বর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/784417 | মোহাম্মদপুরের বিজলি মহল্লার জান্নাতবাগে ‘রনি সবুজ চত্বর’টির বছরের পর বছর ধরে এমন বেহাল দশা। আশপাশের বাসিন্দারা বাড়ির নির্মাণ সামগ্রীর ভগ্নাংশ ফেলছেন, গড়ে উঠছে রিকশা গ্যারেজ, ময়লা আবর্জনাও ফেলছেন কেউ কেউ। সব মিলে যেন ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে এই সবুজ চত্বরটি। ছবিগুলো তুলেছেন জাহিদুল করিম ভ্যানগাড়ি পার্ক করে রেখেছেন চালকেরা। নির্মাণসামগ্রী ফেলেছেন বাড়ির মালিকেরা।ভাঙা বাড়ির পলেস্তারাসহ ময়লা আবর্জনা ফেলেছেন অনেকেই। জান্নাতবাগের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কিছু গাছ আছে, তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে টং দোকানি টুলটি তালাবদ্ধ করে রেখেছেন গাছটির সঙ্গে। কেউ কেউ অব্যবহৃত আসবাবপত্র রেখে গেছেন। রিকশা গ্যারেজ হিসেবে গড়ে উঠছে এলাকাটি। বাড়ি তৈরির ইট ও নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন এক বাড়ির মালিক। | 206,103 |
-1 | sports | খেলা | ২৭ জুলাই ২০১৪, ০১:১২ | ২৭ জুলাই ২০১৪, ০১:১৩ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,খেলা | 0 | আর্জেন্টিনাকে জরিমানা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/278392 | আর্জেন্টিনাকে আবারও জরিমানা করল ফিফা। এবার মাঠে রাজনৈতিক স্লোগান লেখা ব্যানার নিয়ে আসার জন্য ৩০ হাজার সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হচ্ছে বিশ্বকাপ রানার্সআপদের। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ৭ জুন লা প্লাটায় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আগে ওই ব্যানার নিয়ে ছবি তুলেছিলেন কয়েকজন আর্জেন্টাইন ফুটবলার। এর আগে বিশ্বকাপে সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের হাজির করতে ব্যর্থ হওয়ার ৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা গুনেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন।লা প্লাটার ওই ম্যাচে ‘লা মালভিনাস সন আর্জেন্টিনাস (মালভিনাস আর্জেন্টাইন)’ লেখা ব্যানার নিয়ে এসেছিল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনায় ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ মালভিনাস নামে পরিচিত। ফকল্যান্ডকে কেন্দ্র করে ১৯৮২ সালে যুদ্ধ বেঁধেছিল আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে। ১৮৩৩ সাল থেকেই ব্রিটিশদের দখলে থাকা আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপরাজ্যটি নিজেদের দখলে নিতে অভিযান চালিয়েছিল আর্জেন্টাইনরা। এএফপি, রয়টার্স। | 81,134 |
ভোলা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:০১ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:০২ | -1 | 0 | বিক্ষোভ, গণসমাবেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/719916 | মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে ব্লক ফেলে প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ ভোলাকে বাঁচাতে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন, গণসমাবেশসহ সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ মানুষ। বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন বাজার এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়। গণসমাবেশে বক্তব্য দেন আনোয়ার হোসেন, সিরাজ উদ্দিন, জিলন খান, নিরব বোলাই, কাঞ্চন বোলাই, নুরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, সুমন প্রমুখ। বক্তারা আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। | 186,000 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:০৯ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১৭:৪২ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | পরিত্যক্ত কক্ষে অজ্ঞাত যুবকের লাশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/125779 | রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে আজ শনিবার সকালে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের (২৩) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশের ধারণা, আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর এলাকায় সুলতান মিয়া নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত একটি কক্ষ থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে বাইরে থেকে পানি ছিটিয়ে তা নিভিয়ে ফেলেন। এ সময় তাঁরা দেখতে পান ওই কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁরা মেঝেতে একটি লাশ দেখতে পান। লাশটির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্থানীয় লোকজন খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।এসআই আলমগীর কবির বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই কক্ষটি কেউ ব্যবহার করত না। এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ওই যুবক কীভাবে ভেতরে ঢুকেছেন বা তাঁর পরিচয় কী—এ ব্যাপারে কেউ কিছু জানাতে পারেনি। ধারণা করছি, ওই যুবক ভেতরে ঢুকে রাতে ঘুমানোর সময় কয়েল জ্বেলেছিলেন। কয়েল থেকে আগুন ধরে যায়। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ ও ধরন নির্ণয়ের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। | 44,289 |
রোয়েনা ম্যাসন | opinion | মতামত | ২৫ জুন ২০১৬, ০০:০৯ | ২৫ জুন ২০১৬, ০০:০৯ | মতামত,আন্তর্জাতিক | null | ব্রিটেন কেন বেরিয়ে গেল? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/898123 | ব্রিটেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল, সেটা কিন্তু স্রেফ চার মাসের উন্মাদনা সৃষ্টিকারী প্রচারণার কারণে হয়নি। এটা হয়েছে ব্রিটিশদের ইউরোপের ব্যাপারে চার দশকের সন্দেহবাতিকগ্রস্ততার কারণে। সময় কখনো ভালো গেছে, কখনো খারাপ গেছে, কিন্তু এই ব্যাপারটা কখনোই হারিয়ে যায়নি।১৯৭৩ সালে অভিন্ন বাজারব্যবস্থায় প্রবেশ করার পর থেকেই এর বিরুদ্ধাচরণ শুরু হয়। লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক নীতি ছিল এ রকম যে, তারা পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে। আবার কনজারভেটিভ পার্টিরও একটি বড় অংশ কখনোই ইউরোপীয় হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে স্বস্তিবোধ করত না।ডেভিড ক্যামেরন নেতৃত্বে আসীন হওয়ার পর থেকেই দলকে এই ‘ইউরোপ-বিষয়ক একঘেয়ে তর্ক-বিতর্ক’ থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ডাউনিং স্ট্রিটে আসার পর থেকেই দলের পেছনের সারির নেতাদের এই গণভোট আয়োজনের চাপ থেকে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ওদিকে ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির উত্থান, বিচ্ছিন্ন অভিজাত শ্রেণির বিরুদ্ধে গণক্ষোভ ও অভিবাসনের ব্যাপারে জন-অসন্তোষ থাকার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার দাবি জোরালো হয়।ব্রেক্সিট শব্দবন্ধটা প্রথম শোনা যায় ২০১২ সালে, যেটা গত বছর থেকে প্রধান রাজনৈতিক স্লোগান হয়ে ওঠে। ডেভিড ক্যামেরন আবার এই ইউরোপ সন্দেহপ্রবণ পেছনের সারির নেতাদের সন্তুষ্ট করতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ডানপন্থী ফেডারেলিস্ট গোষ্ঠী ইপিপি থেকে সরে আসেন। কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির ডানপন্থী অংশটি এতেও সন্তুষ্ট হয়নি। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ব্রাসেলসের শাসন হিসেবে দেখত।২০১০ সালে নির্বাচিত টরি নেতারা ইউরোপের ব্যাপারে আগের নেতাদের চেয়েও বেশি সন্দেহপ্রবণ হওয়ায় ক্যামেরনের বিপদ শুরু হয়। সেই ২০১১ সালের অক্টোবর মাসেই ডেভিড ক্যামেরন বুঝে যান, সামনে সমূহ বিপদ। সে সময় কনজারভেটিভ পার্টির ৮১ জন সাংসদ ব্রেক্সিটের প্রশ্নে গণভোট দাবি করেন।কিন্তু ২০১২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজেট বৃদ্ধির প্রস্তাবে না ভোট দিয়ে ক্যামেরন ভেবেছিলেন, তিনি মার্গারেট থ্যাচারের ধাঁচের জয় পেয়ে গেছেন। কিন্তু বাস্তবে সে সময় ব্রাসেলসবিরোধী মনোভাব জোরদার হয়। সে বছরের ডিসেম্বরে বিরস জনসন প্রকাশ্যে ক্যামেরনকে আহ্বান জানান, গণভোট আয়োজনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক পুনর্নির্ধারণ করা হোক।তবে ক্যামেরনের কিন্তু এ রকম গণভোট আয়োজনের কথা ছিল না, কারণ তারা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, এমন কথা কখনো ভাবেইনি। কিন্তু গত বছর ক্যামেরনের জয়ের পর তাদের আর পেছন ফিরে তাকানোর পথ ছিল না, যেখানে তাঁর জয়ের আংশিক কারণ ছিল এই গণভোটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া।জরিপ থেকে দেখা যায়, ব্রিটেন মূলত তাদের দেশের বিপুল মানুষের অভিবাসনের ব্যাপারে খুবই অসন্তুষ্ট ছিল, যেটা আসলে তাদের ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার মূল কারণ। ব্যাপারটা ছিল এ রকম যে, তারা মুক্তবাণিজ্যের বিনিময়ে মানুষের অবাধ চলাচল চায় কি না। দলে দলে মানুষ ব্রিটেনে বসতি স্থাপনের কারণে সেখানকার চাকরির বাজার ও সরকারি পরিষেবায় ব্যাপক চাপ পড়েছিল, এ কারণেও মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ওদিকে ২০০৪ ও ২০০৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্বমুখী সম্প্রসারণ হওয়ার কারণে যে কত মানুষ ব্রিটেনে বসতি স্থাপন করেছে, এই সত্যটা রাজনীতিকেরা স্বীকার না করায় ব্রিটেনবাসীর মনে এ অনুভূতি আরও তীব্র হয়।২০১০ সালের নির্বাচনের আগে ক্যামেরন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি অভিবাসনের হার কমিয়ে আনবেন। কিন্তু তিনি সে প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। ফলে ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও সে প্রতিশ্রুতি দেন। এতে তাঁর নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়। আর মানুষ ধরে নেয়, ব্রিটেনের রাজনীতিকদের অভিবাসনের রাশ টেনে ধরার সামর্থ্য নেই।ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষপাতী গোষ্ঠী অভিবাসনের চেয়ে অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নেই বেশি জোর দিয়েছিল, কিন্তু তারা দ্রুতই বুঝে ফেলে, অভিবাসনের ওপর ‘নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার’ ব্যাপারটা সবচেয়ে জোরালো বার্তা। একই সঙ্গে তারা অভিবাসনের সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গার সংকট, ডাক্তারদের নিয়োগসহ মজুরি হ্রাসের প্রসঙ্গগুলো জুড়ে দেয়। আর তার সঙ্গে ব্রাসেলসের ক্ষমতাবান হয়ে ওঠার ব্যাপারটা তো ছিলই।তবে ব্রিটেন কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য কখনোই ভোট করেনি। ১৯৯৩ সালে মাসট্রিখ্ট চুক্তির মাধ্যমে আসলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি ছিল তার পূর্বসূরি, যার আওতা ছিল শুধু অর্থনীতি। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনের মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার ও পুলিশিংও এর আওতায় চলে আসে। ত্যাগের পক্ষপাতীরা বলে, ব্রাসেলস আসলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিল, যেটার জন্য তারা তো এতে যোগ দেয়নি। ফলে যে ইউনিয়নে যাওয়ার জন্য তারা সম্মতি দেয়নি বা তাকে অন্তঃকরণে মেনে নিতে পারেনি, সেখান থেকে তো বেরিয়ে আসাই যায়।এটা ভোলা যাবে না যে, গণভোটটা এমন সময়ই হলো, যখন অভিজাতদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চারদিকে দানা বেঁধে উঠছিল। ত্যাগের পক্ষপাতীরা সব সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রাসেলসের কর্মকর্তাদের জবাবদিহিহীন অভিজাত রাজনীতির উৎস হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, যারা ব্রিটেনের জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়নি। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সব সদস্যই নির্বাচিত এবং তাঁদের সবারই নিজস্ব এজেন্ডা আছে, তা সত্ত্বেও তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এ দাবিটা ইউরোপ-বিষয়ক সন্দেহবাতিকগ্রস্তদের মুখের বুলিতে পরিণত হয়।দেখা গেল, ব্রিটেনের পুরো রাজনৈতিক অঙ্গন এবং টনি ব্লেয়ার থেকে শুরু করে জন মেজরসহ সব সাবেক জীবিত প্রধানমন্ত্রীই থাকার পক্ষে প্রচারণা চালালেও শেষ পর্যন্ত ত্যাগবাদীরাই জয়ী হলো।তবে একটা কথা বলা যায়, ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ) ও তার নেতা নাইজেল ফারাজের আবির্ভাব না হলে হয়তো ক্যামেরন কখনোই এই গণভোটের ঘোষণা দিতেন না। ২০১৩ সালে স্থানীয় নির্বাচনে দলটি বেশ ভালো করে। এমন আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছিল যে, ক্যামেরন যদি দলের পেছনের সারির নেতাদের গণভোটের দাবি মেনে না নেন, তাহলে হয়তো তাঁরা দলত্যাগও করতে পারেন। এমনকি গণভোটের ঘোষণা দেওয়ার পরও ২০১৫ সালের নির্বাচনে ফারাজের দল কয়েক মিলিয়ন ভোট পায়। তিনি ঘন ঘন গণমাধ্যমে হাজির হয়ে মানুষের মনে অভিবাসনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত করেন।ক্যামেরন শেষ দিকে বেশ দৌড়ঝাঁপ করেছেন সত্যি, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। তিনি অভিবাসীদের সংখ্যা না কমিয়ে তাদের সুযোগ-সুবিধা কমানোর চেষ্টা করেছেন। এমনকি এই ফেব্রুয়ারিতে তিনি এও ঘোষণা করেন যে, অভিবাসীরা ব্রিটেনে আসার পর প্রথম চার বছর সুযোগ-সুবিধা পাবে না, যদিও কীভাবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, তার রূপরেখা তিনি দেননি।প্রথম দিকে ব্রেক্সিটকে বিকৃত করে বলা হতো, এটি ডান চরমপন্থী কনজারভেটিভ ও ইউকিপদের ব্যাপার, কিন্তু যখন ক্যামেরনের দুই মহাপ্রতাপশালী বন্ধু বরিস জনসন ও মাইকেল গোভ ব্রেক্সিটের পক্ষে মাঠে নামেন, তখন এটা একরকম বৈধতা পেয়ে যায়। আবার লেবার পার্টিও ক্যামেরনের সমর্থনে জোরসে মাঠে নামেনি। আবার লেবারদের অনেক সমর্থক ইউকিপের দিকেও চলে যায় এই আশায় যে, তারা অভিবাসনের ব্যাপারটা নাগরিক লেবার এমপিদের চেয়ে ভালোভাবে সামাল দিতে পারবে। ফলে যা হওয়ার শেষমেশ তা-ই হলো।অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেওয়ারোয়েনা ম্যাসন: দ্য গার্ডিয়ান-এর রাজনৈতিক প্রতিনিধি। | 235,578 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০৪ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০৪ | বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ | 0 | পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/443065 | চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের ওপর এখনো পড়েনি। ফলে পণ্য রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আবারও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারিতে দেশের পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ হাজার ৭৪৪ কোটি ডলারের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। ছয় মাস শেষে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ ছাড়া আলোচ্য সময়ের রপ্তানি আয় ১ হাজার ৮৫৭ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ কম। ছয় মাস শেষে এটি ছিল ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল বুধবার এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, শুধু জানুয়ারিতে ২৮৮ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে; যা এই মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ শতাংশ কম, তবে আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকেই এসেছে ৮১ শতাংশের বেশি। কিন্তু পোশাকশিল্প মালিকেরা বলছেন, এক মাস ধরে চলা হরতাল-অবরোধে তাঁদের ৩০ শতাংশ ক্রয়াদেশ কমেছে। এ ছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় অনেকেরই সময়মতো পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে না। এতে ক্রয়াদেশ বাতিল ও মূল্যছাড়ের মতো লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের।ইপিবির তথ্যানুযায়ী, বর্তমান অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৪ কোটি ডলার। এই আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি, তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে নিট পোশাক থেকে ৭১৭ কোটি ডলার ও ওভেন পোশাক থেকে ৭২৬ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে।জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, রপ্তানি আয়ের পরিসংখ্যান চার মাস আগের ক্রয়াদেশ থেকে এসেছে। তবে এখন ভরা মৌসুম হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্রেতারা দেশে আসছেন না। উদ্যোক্তাদের বিদেশে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করতে হচ্ছে। তার পরও ক্রেতারা কম ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে এপ্রিলের পর পোশাক খাতের রপ্তানি ঋণাত্মক হবে। এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।আলোচ্য সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ৬৭ কোটি ডলার আয় হয়েছে। এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ শতাংশ কম হলেও গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে পাট ও পাটজাত পণ্যে ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, হিমায়িত খাদ্যে ৩৯ কোটি ডলার, কৃষিজাত পণ্যে ৩৬ কোটি ডলার, হোমটেক্সটাইলে ৪৫ কোটি ডলার, বাইসাইকেলে ৭ কোটি ডলার, প্লাস্টিকে ৬ কোটি ডলার ও প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি করে ২৫ কোটি ডলার আয় হয়েছে।সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, পোশাক খাতের রপ্তানি একটু বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিকভাবে পণ্য রপ্তানি আয় ইতিবাচক হয়েছে। তবে মোট রপ্তানি পণ্যের ৪০ শতাংশেরই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।সিপিডির এই গবেষক বলেন, সম্প্রতি ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এ জন্য বাকি মাসগুলোতে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি মাত্র ২ শতাংশ। আর যে হিসাবটি প্রকাশ পেয়েছে সেটি রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার আগের। তাই পরিস্থিতি পরিবর্তন না হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব হবে।খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে নতুন নতুন পণ্য আসছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এসব পণ্য প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্য বাছাই করে দক্ষতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন বাজারের শুল্কমুক্ত সুবিধা আদায়ে সরকারকে চেষ্টা করতে হবে। তবে সবার আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার নিরসন করতে হবে। | 112,946 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৫৩ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৫৪ | বগুড়া,শেরপুর,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | মাদকসেবীর দণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/44218 | বগুড়ার শেরপুরে দুই মাদকসেবীকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সরোয়ার জাহান গতকাল সোমবার এই সাজা দেন। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার শেরুয়া কাঁঠালতলা গ্রামের আবদুল মমিন ও রণবীরবালা গ্রামের রবিউল ইসলাম। শেরপুর থানার এএসআই আতোয়ার রহমান জানান, গতকাল বেলা ১১টায় শহরের সকালবাজার এলাকায় হেরোইন সেবনকালে ওই দুজনকে আটক করা হয়। শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি | 13,918 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০২ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:০৮ | ০২ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:১০ | প্রজন্ম ডট কম,পরামর্শ | 0 | খেয়াল রাখুন | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1050833 | ছবির সঙ্গে পণ্যের বিস্তারিত তুলে ধরা উচিততানিয়া ওয়াহাবউদ্যোক্তাস্বত্বাধিকারী, ট্যানআমার মতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত পণ্যের ওপর। ছবি এমনভাবে দেওয়া উচিত যেন গ্রাহকের আর কোনো প্রশ্ন না থাকে। অর্থাৎ পণ্যের সব দিক যেন ছবিতে উঠে আসে। আর ছবি সম্পাদনা করা উচিত না। এতে হয়তো ক্রেতা ওয়েবসাইটে এক রকম পণ্য দেখে কিনল, কিন্তু হাতে পাওয়ার পর রং কিংবা নকশা অন্য রকম পেল। এতে ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে সে ক্রেতার ধারণা খারাপ হবে। আর ছবির সঙ্গে সে পণ্যের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরাও উচিত।আরেকটা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে হয়—নির্ধারিত পণ্য তো থাকবেই, সঙ্গে থাকা উচিত ক্রেতার পছন্দ জানানোর সুযোগ। অর্থাৎ ফরমায়েশি পণ্য সরবরাহের সুবিধা। পেমেন্ট গেটওয়ে ঠিক করে দিতে হবেরাজিব আহমেদসভাপতি, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)ওয়েবসাইটে পণ্যের ছবি ও দাম উল্লেখ করে তা বিক্রির জন্য হালনাগাদ করতে হবে। এ জন্য ঠিক করে দিতে হবে ঠিক কী মাধ্যমে আপনি ক্রেতার কাছ থেকে পণ্য বিক্রির অর্থ নিতে চান। অর্থাৎ পেমেন্ট গেটওয়ে ঠিক করে দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য পাতা ঠিক করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে ফেসবুকের ওপর। কারণ বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি। গ্রাহকসেবা দেওয়ার পদ্ধতি ঠিক করে দিতে হবে। যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর কিংবা ই-মেইল ঠিকানা হতে পারে। কুরিয়ার বা পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। এরপর গুরুত্ব দিতে হবে বাজারজাতকরণের ওপর। | 279,538 |
তারেক মাহমুদ, চট্টগ্রাম থেকে | sports | খেলা | ১৫ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৫৫ | ১৫ অক্টোবর ২০১৬, ১১:২২ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | কুক–রুটকেই হুমকি ভাবছেন তামিম | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1000431 | একজনের নামের পাশে সাড়ে ১০ হাজার রান। আরেকজন বাংলাদেশে আসার আগের সিরিজেই খেলেছেন আড়াই শ রানের ইনিংস। ইংল্যান্ড সিরিজে এই দুজনকে ঠেকানোটাই মূল কাজ মনে করছেন তামিম ইকবাল। প্রথম জন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ও দ্বিতীয়জন ওয়ানডে সিরিজে বিশ্রামে থাকা জো রুট।‘খুব ভালো ফর্মে আছে ইংল্যান্ড। দলের সবাই ভালো খেলছে। তবে সব দলেই এক-দুজন খেলোয়াড় থাকে, যাদের কথা আলাদা করে ভাবতে হয়। এই সিরিজে আমাদের ভাবতে হবে কুক আর রুটকে নিয়ে। টেস্ট সিরিজে কুক আর রুটই হবে আমাদের মূল টার্গেট’—কাল মুঠোফোনে বলেছেন টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক তামিম।কাজটা যে বাংলাদেশি বোলারদের জন্য সহজ হবে না, তিনি মানেন সেটিও। কিন্তু টেস্টে ভালো কিছু পেতে হলে কুক-রুটকে থামানোর বিকল্পও দেখছেন না তামিম, ‘কুক টেস্টে সাড়ে ১০ হাজারের বেশি রান করেছে। রুটও রান করেই যাচ্ছে। অন্য ব্যাটসম্যানদের ওপর থেকে মনোযোগ সরানো যাবে না, কিন্তু এ দুজনকে যে করেই হোক ভালোভাবে সামলাতে হবে।’বোলারদের চ্যালেঞ্জ কুক-রুট, আর ব্যাটসম্যানদের সামলাতে হবে আদিল রশিদকে। আফগানিস্তান সিরিজের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও লেগ স্পিনের সামনে ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা প্রকট হয়ে ধরা পড়েছে। তিন ওয়ানডেতে ১০ উইকেট নেওয়া আদিল রশিদ তো আছেনই, ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে যোগ হয়েছেন দুই মৌসুমি লেগিও। একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান গ্যারি ব্যালান্স ও আরেকজন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ১৯ বছর বয়সী হাসিব হামিদ।লেগ স্পিনারদের প্রসঙ্গ উঠতেই তামিম সতর্কবার্তা জারি করলেন ব্যাটসম্যানদের জন্যও, ‘আমরা লেগ স্পিনারদের ভালোভাবে খেলতে পারছি না। আদিল রশিদের ১০ উইকেট পাওয়া সেটাই প্রমাণ করে। কিছু উইকেট হয়তো ও বাজে বলে পেয়েছে, তবে লেগ স্পিনারদের বলে আমাদের আরও সতর্ক হয়ে খেলতে হবে।’ইংল্যান্ডের সঙ্গে শেষ ওয়ানডেতে তামিম নিজেও আউট হয়েছেন রশিদের বলে। লেগ স্পিন নিয়ে সতর্কবার্তাটা তাই তাঁর নিজের জন্যও প্রযোজ্য। অবশ্য টেস্টের প্রতিপক্ষ যখন ইংল্যান্ড, তামিমের কাছে চাওয়াটা এমনিতেই একটু বেশি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত খেলা চার টেস্টে ৬৩.১২ গড়ে রান করেছেন ৫০৫। দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি। সেঞ্চুরি দুটিও এসেছে ২০১০ সালে দুই দলের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে।লর্ডস, ওল্ড ট্রাফোর্ডের পর চট্টগ্রাম ও মিরপুর। এবার কি হাসবে তামিমের ব্যাট? | 255,975 |
আদালত প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৩৭ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৩৮ | আইন ও বিচার,ঢাকা বিভাগ | 0 | ঢাকা মেডিকেলের সাবেক পরিচালকসহ ৭ জনের বিচার শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/321724 | সরঞ্জাম ক্রয়-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক বজলে কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হলো।বজলে কাদের ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন: ঢাকা মেডিকেলের সাবেক জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মোহাম্মদ মশিউর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, সাবেক উপপরিচালক মো. ফয়জুল্লাহ, সাবেক দুই হিসাবরক্ষক নজরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম (২) এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এইচএন সার্জিক্যাল মার্টের স্বত্বাধিকারী মো. হাবিবুর রহমান। এর মধ্যে মোহাম্মদ মশিউর রহমান পলাতক। অন্যরা কারাগারে আছেন। গতকাল আসামিপক্ষ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে। আদালত তা নাকচ করে দেন। আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। গতকাল আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলে আদালত তাও নাকচ করে দেন।গত ২৭ আগস্ট এ মামলার সাত আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার সময় চিকিৎসক মোহাম্মদ মশিউর রহমান ও আতিয়ার রহমান কৌশলে পালিয়ে যান। পরে ৭ সেপ্টেম্বর আতিয়ার রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিয়মিত দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান করা ছাড়াই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সরঞ্জাম কেনার নামে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছ কোটেশনের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করে সরকারের দুই কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার ৯২০ টাকা আর্থিক ক্ষতি করে তা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর শাহাবাগ থানায় এই মামলা করে দুদক। | 94,094 |
প্রতিনিধি, কলকাতা | international | আন্তর্জাতিক | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ০৪:৩৫ | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ০৯:৩৫ | ভারত | null | ভারতে বিদেশি রোগীর সংখ্যায় শীর্ষে বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1547366 | ভারতে প্রতিবছরই চিকিৎসার জন্য প্রচুরসংখ্যক বিদেশি রোগী আসেন। রাজ্যের নামীদামি হাসপাতালে এই রোগীদের আনাগোনা বেশি। তবে দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, বিদেশি রোগীদের মধ্যে এখনো শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশিদের সংখ্যা।কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গত বছর শুধু বাংলাদেশ থেকে ২ লাখ ২১ হাজার ৭৫১ জন মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন। এই হিসাবে আরও বলা হয়, ইউপিএ আমলের চেয়ে এখন বাংলাদেশ থেকে বেশি রোগী আসছেন।পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সূত্রে আরও বলা হয়, গত বছর আফগানিস্তান থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছেন ৫৫ হাজার ৬৮১ জন রোগী। এরপরই স্থান ছিল ইরাকের। সেখান থেকে এসেছেন ৪৭ হাজার ৬৪০ জন রোগী। গত বছর ওমান থেকে এসেছেন ২৮ হাজার ১৫৭ জন। আর মালদ্বীপ থেকে এসেছিলেন ৪৫ হাজার রোগী। গত বছরই মালদ্বীপ থেকে রেকর্ডসংখ্যক রোগী এসেছিলেন ভারতে। তবে ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ হাজার।অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, গত বছর কমসংখ্যক রোগী এসেছেন পাকিস্তান থেকে। যার পরিমাণ ছিল মাত্র ১ হাজার ৭৮৫ জন। ২০১৬ সালে ওই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৫৫।এদিকে বিশেষ করে বাংলাদেশি রোগীদের সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য ভারতের স্বাস্থ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নতুন করে পরিকল্পনা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে চিকিৎসাসংক্রান্ত বিশেষ সেমিনারের আয়োজন এবং ভারতের সব কটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেল্প ডেস্ক খোলা। যাতে করে বাংলাদেশের রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবায় আরও বেশি করে সাহায্য পেতে পারেন। | 372,754 |
পিরোজপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০০:১৭ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০০:১৮ | পিরোজপুর,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | ঝালকাঠিতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, ছয়জন কারাগারে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1026073 | ঝালকাঠি শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় গত সোমবার সন্ধ্যায় একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নারীসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে ছয়জনকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।ওই ছয়জন হলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম মুন্সি, সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার জালীয়াঘাটা গ্রামের কাজী রানা, একই উপজেলার রুবেল হাওলাদার, ঝালকাঠি শহরের ব্র্যাক মোড় এলাকার মো. সানি ও চট্টগ্রাম নগরের শান্তা ইসলাম। | 267,984 |
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৮ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৯ | লক্ষ্মীপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | লাশ দাফন, কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/98377 | লক্ষ্মীপুরে র্যাবের গুলিতে নেতা-কর্মীদের হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সমেঞ্চলন করেছে জেলা বিএনপি। বাদ জুমা শহরের সোনা মিয়া ঈদগাহ মাঠে ১৮-দলীয় জোটের তিন নেতা-কর্মীর জানাজা হয়। যুবদল নেতা ইকবাল মাহমুদ জুয়েলেরও গায়েবানা জানাজা হয়। পরে তিনজনের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।সংবাদ সমেঞ্চলনে বিএনপির নেতারা র্যাবের সঙ্গে অজ্ঞাত মুখোশ পরা বন্দুকধারীরা ছিল বলে দাবি করেন। ঘটনার প্রতিবাদে জেলা, উপজেলা ও পৌর শহর পর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের কালোব্যাজ ধারণ, দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, আজ শনিবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং কাল রোববার বেলা তিনটায় শোক র্যালি কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।সংবাদ সমেঞ্চলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া। এ সময় সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাছিবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাইনুদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, জামায়াত নেতা হাফিজুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সমেঞ্চলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবসহ অজ্ঞাত মুখোশ পরা বন্দুকধারীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাঁর পায়ে গুলি করে তাঁর ভাই বাচ্চুসহ দুজনকে আটক করতে বাসা থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করা হয়।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের চকবাজার পৌঁছালে মুখোশধারী ব্যক্তি ও র্যাবের সদস্যরা মিছিলে গুলিবর্ষণ করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাঁর লাশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে যান। এখনো লাশটি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া র্যাবের গুলিতে বিএনপির নেতা মাহবুবুর রহমান, যুবদল নেতা সুমন ও শিবিরের কর্মী শিহাব নিহত হন।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব-পুলিশ এবং অজ্ঞাত মুখোশধারীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুর বাসভবনে হানা দেয়। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে যান। চকবাজার এলাকায় র্যাব অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এতে জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল মাহমুদ জুয়েল ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ছাড়া ১৮ দলের তিন নেতা-কর্মীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। | 35,624 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০৯ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:১৭ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,অপরাধ,মহানগর | 0 | সেই বন্দুকধারী চাঁদাবাজিতে ধরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/307678 | প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আলোচিত হওয়া সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি দে চাঁদাবাজিতে ধরা পড়েছে। গত রোববার রাতে নগরের তালতলা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ঢুকে চাঁদা না পেয়ে কক্ষ দখল করে রাখায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।রাতে পীযূষের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা হলে তাকে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানায়, তালতলার হোটেল ইস্ট এন্ড নামের আবাসিক হোটেলে গিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পীযূষ। টাকা না দেওয়ায় সে হোটেলে অবস্থান করছে জানিয়ে তালা ভেঙে একটি কক্ষে বসে পড়ে। টাকা দিলে পরে ওই কক্ষ ছাড়বে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই কক্ষ থেকে পীযূষকে আটক করা হয়। পরে থানায় নিয়ে এলে তার বিরুদ্ধে ওই হোটেলসহ আরও দুটি হোটেল কর্তৃপক্ষ পীযূষের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করে। তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে জেলে পাঠানো হয়।হোটেল ইস্ট এন্ডের একজন ব্যবস্থাপক জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পীযূষের নেতৃত্বে ১০-১২ জন হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে বসে আড্ডা দেয়। গত রোববার রাতে এসে পীযূষ এক লাখ টাকা চায়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত ১০৫ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছে জানিয়ে তালা ভেঙে কক্ষটিতে ঢোকে সে। পরে পুলিশ তাকে ওই কক্ষ থেকে আটক করে।পুলিশ ও দলীয় লোকজন জানান, মদনমোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ থেকে পীযূষ ২০০৩ সালে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এরপর কমিটি পুনর্গঠন হলেও পীযূষ তার পক্ষের কিছু কর্মী নিয়ে ছাত্রলীগের নামে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি শুরু করে। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সে বিদেশে চলে যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে ২০১০ সালের দিকে সে দেশে ফেরে।মহানগর ছাত্রলীগে কোনো পদ না থাকলেও দলে প্রভাব বিস্তার করে থাকে পীযূষ। তার বিরুদ্ধে জায়গা দখল, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক ভাঙচুর করলে পীযূষ তার দল নিয়ে প্রকাশ্যে বন্দুক ও রামদা উঁচিয়ে তালতলা এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আলোচিত হয়।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে। তবে তার চাঁদাবাজির ঘটনা তদন্তকালে পুলিশ প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়টিও তদন্ত করে দেখবে। | 89,997 |
জয়পুরহাট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ মে ২০১৫, ০১:২২ | ১৬ মে ২০১৫, ০১:২৩ | অপরাধ | 0 | ডাকাত-পুলিশ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন গুলিবিদ্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/528895 | জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার ফুলদীঘি-গোপীনাথপুর সড়কের মহিষমণ্ডা মোড়ে পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছে।ক্ষেতলাল থানা-পুলিশের ভাষ্য, ওই রাতে উপজেলার মহিষমণ্ডা সড়কের মোড়ে ছয়-সাতজনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা-পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছে। ঘটনা বুঝতে পেরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ডাকাতেরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী ধানখেত থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ক্ষেতলালের পৌলুঞ্জ গ্রামের মোহসিন আলী (৩০) নামের এক যুবককে পুলিশ আটক করে। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি বড় ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করে। রাত আড়াইটায় তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক সাইদুর রহমান জানান, মোহসিন আলী ডান ঊরুতে গুরুতর জখম নিয়ে ভর্তি হয়েছে।ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনিরুল ইসলাম দাবি করেন, মোহসিনের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা, ডাকাতি ও একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ এনে ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান। আহত মোহসিনের পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। | 139,394 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:০৯ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:১১ | ঢালিউড,বিনোদন | null | টাকা নয়, অভিনেত্রী হতে চেয়েছি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1557518 | অপেক্ষায় ছিলেন ‘আইসক্রিম’ ছবির নায়িকা নাজিফা তুশি। একটি ভালো সিনেমার প্রস্তাব পেলেই লুফে নেবেন। তারপর মেকআপ নিয়ে গিয়ে দাঁড়াবেন ক্যামেরার সামনে। তাঁর অপেক্ষার পালা হয়তো শেষ হতে চলেছে। যেকোনো দিন তাঁর দিকে মুখ করে জ্বলে উঠবে অনেকগুলো বাতি।টেলিভিশনে খুব বেশি দেখা যায় না নায়িকা নাজিফা তুশিকে। টিভি নাটকে কাজের অনেক প্রস্তাব পেয়েও সাড়া দেননি। ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করছেন ভালো একটি চলচ্চিত্রের জন্য। টেলিভিশন নাটকে কাজ করলেন না কেন? বললেন, ‘চাইলে অন্তত ৫০টি নাটক করতে পারতাম। কিন্তু আমার টাকার দরকার নেই। আমি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চেয়েছি, অভিনেত্রী হতে চেয়েছি।’আজ শুক্রবার বিকেলে বান্দরবান থেকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘নরমাল প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে চাই না। সে জন্য অপেক্ষা করেছি। আশা করছি শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।’ ছবির গল্পটি কেমন? তুশি জানান, ‘গল্পের অনেক কিছুই হয়তো কমন পড়বে। কিন্তু গল্প বলার ধরনটা ব্যতিক্রম। সেটাই আমার ভালো লেগেছে।’একটি টিভি চ্যানেলে সৌন্দর্যবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন নাজিফা তুশি। আর এখন চলছে তৃতীয় মিউজিক ভিডিওর দৃশ্য ধারণ। নায়ক সালমান শাহর জন্মদিন উপলক্ষে অনলাইনে প্রকাশিত হবে ভিডিওটি। সালমান শাহর ছবির একটি গান নতুন করে গাইছেন ইমরান মাহমুদুল। সেই মিউজিক ভিডিওর মডেল তুশি। নতুন করে দৃশ্যায়নের জন্য সাজানো হয়েছে একটি গল্প। আজই শেষ হবে ভিডিওর শুটিং। তুশি বলেন, ‘সালমান শাহ আমার প্রিয় নায়ক। তাঁর ছবির গান নিয়ে নতুন মিউজিক ভিডিও হচ্ছে, সেখানে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এখানে আমাকে অনেক গ্ল্যামারাস দেখা যাবে।’কাজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মতো কঠিন কাজটি কীভাবে করেন? তুশি বলেন, ‘না বলার শক্তি খুব কম মানুষের থাকে। আমি সব সময় লোভ সংবরণ করার চেষ্টা করি। কাজ করলে তো ভালোই হতো। সম্মানী হিসেবে অনেক টাকা পেতাম, দর্শকদের চোখের সামনে থাকতে পারতাম। কিন্তু জয়া আহসান আপুকে দেখে আমি শিখি। তিনি বড় অভিনেত্রী। তাঁকে কিন্তু টেলিভিশন নাটকে হরহামেশাই দেখা যায় না। আমিও বড় পরিসরের দর্শকদের চোখের সামনে আসতে চেয়েছি।’ | 376,692 |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:১৮ | ১২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:১৯ | আদমদীঘি,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | কম্বল বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/421429 | অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড নওগাঁ অঞ্চলের উদ্যোগে গত শনিবার অসহায় দুস্থ শীতার্ত লোকজনের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন সাংসদ মো. আবদুল মালেক। বিকেলে এ উপলক্ষে নওগাঁ জিলা স্কুল মাঠে অগ্রণী ব্যাংক নওগাঁ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখাপ্রধান আ. হামিদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিসার বাবলু হুহুরী, অফিসার সমিতির সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুলাহ চৌধুরী প্রমুখ। | 106,169 |
রাসেল মাহমুদ | entertainment | বিনোদন | ০৪ আগস্ট ২০১৬, ০০:০১ | ০৪ আগস্ট ২০১৬, ০০:৪২ | আনন্দ,বিদেশের গান | 0 | কেন দূরে থাকা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/934996 | রাত ভোর হওয়ার আগেই তাঁকে নিয়ে খবর বদলে যায়। এ হচ্ছে সেই তারকা, যাকে অনুসরণ করতে রীতিমতো দৌড়ের ওপর থাকতে হয় পাপারাজিদের। দুপুরের কাহিনি বাসি হয়ে পড়ে বিকেলে, সন্ধ্যায় সেটা নেয় নতুন উত্তাপ। এ হচ্ছে বিশ্বসংগীতের চঞ্চলতম তারকা জাস্টিন বিবার।এমন তারকাকে নিয়ে যা সব রটনা, সেসবে বিশ্বাস রাখাও মুশকিল। কিন্তু যা রটে তা কত শতাংশেই বা অবিশ্বাস করা যায়! ফলে গ্র্যামিজয়ী জাস্টিন বিবারকে ঘিরে ঘটতে থাকা ঘটনাগুলো তাঁর গানগুলোর মতোই উড়তে থাকে শ্রোতা ও ভক্তদের চোখের ওপর দিয়েই। এরই মধ্যে তাঁদের কাছে আরও একবার উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিয়েছেন বিবার। জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিক্রয়যোগ্য নন। ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে। নানা উপায়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এসবের মধ্যে নাকি বিবারকেও যুক্ত করতে চেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের লোকেরা। মাত্র ৪০ মিনিট নেচেগেয়ে লোক জড়ো করে দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। লোক এলে পরে বক্তৃতা দেবেন ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী। এই হচ্ছে বিবারের জনপ্রিয়তা। প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জন্য লোক ডেকে দিতে হচ্ছে তাঁকে! আর সেই ৪০ মিনিটের জন্য তাঁকে প্রস্তাব করা হয়েছিল ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাতাসে হাত ছুড়ে বিবার জানিয়ে দিয়েছেন, ভাগো।এই তো সেদিনের ছেলে। ‘বেবি’ গানটি দিয়ে বিশ্বের সংগীতপ্রেমী তরুণীদের মন কেড়ে নিতে শুরু করেছেন কদিন হলো। এখনো পথচলার পুরোটাই বাকি। সেই ছেলে নাকি সম্প্রতি নিজের শেষকৃত্যের আয়োজন শুরু করে দিয়েছেন। শেষকৃত্যের জন্য ২৪ কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছেন। বলে দিয়েছেন, সমাধির ওপরে সৌরবিদ্যুচ্চালিত ডিজিটাল পর্দা রাখতে হবে, যেখানে তাঁর গানগুলো বাজবে। শেষকৃত্যের আয়োজনে নিজের কীর্তি প্রচারের জন্য রাখা হবে ত্রিমাত্রিক হলোগ্রামযুক্ত পর্দা। হয়তো সেখানে চলতে থাকবে তাঁর ‘সরি’, ‘প্রে’, ‘লাভ ইয়োরসেলফ’ ও ‘নেভার সে নেভার’ গানের ভিডিওগুলো। ছেলের এসব কাণ্ডকারখানার কথা শুনে তাঁর মায়ের চোখ কপালে।গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডজয়ী এ সংগীত তারকার কথা উঠলেই চলে আসে সেলেনা গোমেজের কথা। তাঁর এই সাবেক প্রেমিকা আজও বিবারের ঘোর কাটাতে পারেননি। সম্প্রতি মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটে রহস্যময় এক টুকরো ভিডিও পোস্ট করেছেন সেলেনা। তাতে একচিলতে গান। গানটা সেলেনার নয়, বিবারের। মন দিয়ে শুনলে মনে হবে, হ্যাঁ এটা বিবারের ‘লেট মি লাভ ইউ’ গানের সুর। মনে হচ্ছে সাবেক প্রেমিককে আবারও কাছে টানার চেষ্টা। কাছে টানতে পারলে একটা যৌথ গান করে ফেলবেন হয়তো। সময়টা যৌথ সংগীতের। এই খবরের নিচেই এক পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘বিচ্ছিন্ন হয়ে দুজনেই ভীষণ কষ্টে আছে। যেকোনো সময় তাঁরা আবারও একত্র হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রেমিক বলে কথা, কেন দূরে থাকা!’হলিউড লাইফ, মিরর, টিএমজেড অবলম্বনে | 246,584 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৬ জুন ২০১৬, ১৯:১১ | ১৬ জুন ২০১৬, ২১:০৩ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | বলিভিয়াকে নিয়ে তামাশা করেছিলেন মেসি? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/890026 | ম্যাচের তখন ৭৭ মিনিট। একটা থ্রু ধরে বলিভিয়ার গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পেকেও কাটিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে বেজে ওঠে অফসাইডের বাঁশি। মেসি এরপর যেটা করলেন, সেটা আর কেউ মনে না রাখলেও লাম্পে অনেক দিন মনে রাখবেন। দুই পা নয়, তাঁর দুই হাতের ফাঁক দিয়ে যেভাবে মেসি বলটা নিয়ে গেলেন, একজন গোলরক্ষকের জন্য সেটা খুব গর্বের কিছু ছিল না। কিন্তু ওই ঘটনাটাই ‘অপমান’ হিসেবে দেখছে বলিভিয়া। তাদের তারকা খেলোয়াড় জাসমানি কাম্পোস তো ম্যাচ শেষে ক্ষোভই উগরে দিলেন, ‘সে আসলে আমাদের সঙ্গে তামাশা করতে এসেছে। ওর মতো একজন খেলোয়াড়ের এ রকম করা মোটেই উচিত হয়নি। সে শুধু শুধু আমাদের সতীর্থদের নিয়ে রসিকতা করেছে।’ শুধু ওই ঘটনাতেই কাম্পোসের অভিযোগ থেমে যাচ্ছে না। দাবি করেছেন, মাঠে একটা সংঘর্ষের সময় মেসি তাঁকে অশ্রাব্য কিছু বলেছিলেন, ‘ব্যাপারটা ঘটেছিল খুব দ্রুত। আমি ওকে ট্যাকল করেছিলাম, এর পরেই দুজনের মধ্যে ঠোকাঠুকি হয়ে গেল। এরপর সে যেটা বলল, সেটা আমার একদমই পছন্দ হয়নি।’ কিন্তু মেসি আসলে ঠিক কী বলেছিলেন? কাম্পোস সেটা প্রকাশ করেননি, ‘খুবই কুৎসিত একটা কথা। এটা আমি কাউকে বলব না। তবে ওই ব্যাপারটা এখন চুকেবুকে গেছে। ও বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, দারুণ একটা দল। ওদের শুভকামনা জানাচ্ছি।’ | 232,592 |
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৪:৫৭ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৫:৫৯ | অপরাধ,লক্ষ্মীপুর | 0 | লক্ষ্মীপুরে গণপিটুনিতে নিহত ১, আটক ৩ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/733675 | লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পশ্চিম আঙ্গারপাড়ায় গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন মুসলিম মিয়া নামের (৪৫) এক ব্যক্তি। পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে চোর সন্দেহে তাঁকে পিটুনি দেওয়া হয়। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন।এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রুহুল আমিন খলিফা, মো. কাউছার ও মো. ছায়েম। সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রবাসী বাচ্চু দেওয়ানের ঘরে ঢুকে মুসলিম মিয়া স্বর্ণালংকার ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে পিটুনি দেন । এতে মুসলিম মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে সকালে রামগঞ্জ থানা-পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমের ভাষ্য, তাঁর স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। তিনি কখনো চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে তিনি দাবি করেন।সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া বলেন, চোর সন্দেহে মুসলিম মিয়াকে স্থানীয় জনতা পিটুনি দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় দুটি চুরির মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 190,052 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৮ এপ্রিল ২০১৮, ২৩:০৫ | ২৮ এপ্রিল ২০১৮, ২৩:৫৯ | যুক্তরাজ্য | 0 | সন্দেহভাজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার পুলিশ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1478951 | ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সন্দেহভাজন এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন একজন নারী পুলিশ সদস্য। ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলেন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। শেষে অবশ্য ওই আসামির হাতে হাতকড়া পড়েছে।এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সাউথ ইয়র্কশায়ারের স্থানীয় পুলিশ বিভাগ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শেফিল্ডের স্কটল্যান্ড স্ট্রিট এলাকার একটি ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু নারী পুলিশ সদস্যকে যৌন হয়রানি করেন ওই আসামি। একপর্যায়ে তিনি দুই পুলিশ সদস্যকে কাঠের বোর্ড দিয়ে আঘাতও করেন।গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পরে ২৯ বছর বয়সী ওই আসামিকে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।সাউথ ইয়র্কশায়ারের পুলিশ বিভাগের প্রধান পরিদর্শক লিডিয়া লিনস্কে বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা নানা ধরনের বিপদের মুখে পড়েন। শুক্রবারের ঘটনাটিও তেমনি ছিল। এটি একটি সহিংস ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি ছিল। তবে তাঁরা ব্যাপক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছে। আমরা তাঁদের পাশে আছি। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর যে কোনো হেনস্তা বা শারীরিকভাবে আক্রমণের ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।’পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, আক্রমণের শিকার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এখন বিশ্রামে আছেন। সেরে উঠলেই আবার বাহিনীতে যোগ দেবেন তাঁরা। | 362,293 |
মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর | education | শিক্ষা | ২৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৬ | ২৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:১১ | পড়াশোনা | 0 | ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা: বিশেষ প্রস্তুতি-১০ | http://www.prothom-alo.com/education/article/85213 | সৃজনশীল প্রশ্ন অংশ-২প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, শুভেচ্ছা রইলো। আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধ থেকে দেওয়া হলো একটি সৃজনশীল প্রশ্ন ও তার উত্তর। জনৈক বাংলা শিক্ষক তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলেকে একটি পত্র লেখেন। পত্রের কিছু অংশ নিচে দেওয়া হলো: ‘স্নেহাষ্পদেষু, তোমার স্বহস্ত লিখিত পত্রখানি ডাক বাহকের হস্ত ঘুরিয়া কিয়ৎ দিবস পূর্বে আমার হস্তগত হইলে আমি পত্রপাঠে বিশেষ প্রীত হইতে পারি নাই। তুমি কি আমার সহিত প্রপঞ্চ করিতেছ? তা না হইলে তোমার বন্ধু মারফত তোমার সম্পর্কে একি অশ্রুতপূর্ব ঘটনা শুনিলাম! ঘটনা শ্রুতপূর্বক আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়াছি এবং তদ্ধেতুক উক্ত পত্রখানি রচনা করিতে বসিয়াছি। মনে রাখিও, বিভাবরীর অবসানেই ভাণুর প্রতাপ প্রজ্বলিত হয়।ক. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাসের নাম কী? ১খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধে ‘বিজ্ঞাপন’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইশতিহার’ ব্যবহার করতে বলেছেন কেন? ২গ. ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধে প্রকাশিত কোন দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা করো। ৩ঘ. উক্ত পত্রটি সহজবোধ্য করতে ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলো কীভাবে কাজ করবে? বুঝিয়ে লেখো। ৪১ (ক) নম্বর প্রশ্নের উত্তরবাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাসের নাম দুর্গেশনন্দিনী।১ (খ) নম্বর প্রশ্নের উত্তর‘ইশতিহার’ লৌকিক শব্দ এবং এটি ব্যবহার করলে রচনা বা সাহিত্যকর্মের ভাব বা অর্থ খুব দ্রুত প্রকাশ পায়। তাই বঙ্কিমচন্দ্র ‘বিজ্ঞাপন’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইশতিহার’ শব্দ ব্যবহার করতে বলেছেন।যেকোনো রচনা বা সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রে উপযুক্ত শব্দচয়নের গুরুত্ব সর্বাধিক। অর্থবিভ্রান্তি নেই, এমন লৌকিক বা প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করলে রচনার অর্থ দ্রুত প্রকাশ পায়। বিজ্ঞাপন সংস্কৃত শব্দ বিধায় তৎকালীন অনেক সাহিত্যিক বিজ্ঞাপন শব্দ ব্যবহারের পক্ষে থাকলেও, বঙ্কিমচন্দ্র এর পরিবর্তে ইশতিহার ব্যবহার করতে বলেছেন। বিদেশি শব্দ হলেও এর লৌকিকতা আছে এবং বিজ্ঞাপনশব্দের মতো এটা বিভিন্নার্থক নয়।১ (গ) নম্বর প্রশ্নের উত্তর:‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধের প্রাঞ্জলতার দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত। প্রাঞ্জলতা অর্থ সহজবোধ্যতা। অর্থাৎ পাঠক কোনো সাহিত্যকর্ম পড়ামাত্র বুঝতে পারলে তাকেই ওই সাহিত্যের ‘প্রাঞ্জলতা’ গুণ বলে। বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, বেশ কিছু কৌশল মনে রাখলে রচনা প্রাঞ্জল হয়। অর্থাৎ অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার না করা, বাক্য জটিল না করা, অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করে বাহুল্যদোষ না ঘটানো ইত্যাদি মনে রাখলে রচনায় প্রাঞ্জলতা আসে।আলোচ্য উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, জনৈক বাংলা শিক্ষক তাঁর লেখা পত্রে অনেক অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করে বাহুল্যদোষ ঘটিয়েছেন। অনেক বাক্যকে একত্র করে জটিল বাক্য বানিয়েছেন। ফলে পত্রের ভাব খুব সহজে প্রকাশ পাচ্ছে না। তিনি বিভাবরী, প্রপঞ্চ, তদ্ধেতুক, ভাণু, কিংকর্তব্যবিমূঢ় ইত্যাদি অপ্রচলিত দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেখানে বঙ্কিমচন্দ্র হুতাশন, হুতভুক, বায়ুসখা, বৈশ্বানর ব্যবহার না করে অগ্নি বা আগুন ব্যবহার করতে বলেছেন। কাজেই দেখা যায়, উদ্দীপকে প্রাঞ্জলতার অভাব রয়েছে।১ (ঘ) নম্বর প্রশ্নের উত্তর:‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর সাহায্যে ওই পত্রটিকে অনায়াসে সহজবোধ্য করা যায়।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, রচনার প্রধান দুটি শিল্পগুণ হলো ‘অর্থব্যক্তি’ ও ‘প্রাঞ্জলতা’। উপযুক্ত লৌকিক শব্দ চয়ন ও প্রয়োগই হচ্ছে অর্থব্যক্তি বা অর্থপ্রকাশ। আর সাহিত্যের সহজবোধ্যতার গুণটি হলো প্রাঞ্জলতা। অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার না করে, বাক্য জটিল না করে, অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করে বাহুল্যদোষ না ঘটিয়ে, স্থূল বাক্যকে সম্প্রসারণ ও উদাহরণ প্রয়োগ করে প্রাঞ্জলতা আনা সম্ভব।আলোচ্য উদ্দীপকের পত্রে অনেক অপ্রচলিত ও দুর্বোধ্য শব্দ যেমন কিয়ৎদিবস, বিভাবরী, প্রপঞ্চ, ভাণু, কিংকর্তব্যবিমূঢ় ইত্যাদি ব্যবহূত হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ধি-সমাসজাত শব্দ স্বহস্তলিখিত, হস্তগত, অশ্রুতপূর্ব, তদ্ধেতুক ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তা ছাড়া একাধিক বাক্য একত্র করার ফলে বাক্য জটিল হয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক অনেক শব্দ এসে পত্রকে বাহুল্যদোষে আক্রান্ত করেছে।একজন লেখককে এসব নেতিবাচক প্রবণতা পরিহার করার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পত্রটি সহজবোধ্য করতে অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ‘কিয়ৎদিবস’-এর বদলে ‘কিছুদিন’; ‘প্রপঞ্চ’র পরিবর্তে ‘ছলনা’ বা ‘প্রতারণা’ ও ‘বিভাবরী’র পরিবর্তে ‘রাত’ শব্দগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার সন্ধি-সমাসজাত শব্দ ‘তদ্ধেতুক’-এর পরিবর্তে ‘সে জন্য’; ‘অশ্রুতপূর্ব’র পরিবর্তে ‘আগে কখনো শুনিনি’—এ জাতীয় শব্দগুলো ব্যবহার করলে ভাব দ্রুত প্রকাশ পাবে। তা ছাড়া পত্রের জটিল বাক্যগুলোকে ভেঙে ছোট ছোট সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ বর্জন করে বাক্যকে বাহুল্যদোষ মুক্ত করতে হবে। এভাবে ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর সাহায্যে ওই পত্রটিকে অনায়াসে সহজবোধ্য করা যায়।সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল, ঢাকা | 31,741 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৪০ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১২:৪৪ | বিনোদন | 0 | মুকুট পরে নিজ দেশে প্রিয়তি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/765907 | পরনে সোনালি গাউন। মাথায় পাথরখচিত মুকুট, গায়ে জড়ানো স্যাশে। স্যাশেতে লেখা ‘মিজ আর্থ ফার্স্ট রানারআপ’। এভাবেই গতকাল বুধবার দেখা গেল মাকসুদা আকতারকে, প্রিয়তি নামেই যাঁকে সবাই চেনে।বিশ্বের দেশসেরা সুন্দরীদের প্রতিযোগিতা ‘মিজ আর্থ ২০১৫’-এর প্রথম রানারআপ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এলেন জন্মস্থান বাংলাদেশে। ৯ ফেব্রুয়ারি দেশে এসেই গিয়েছিলেন অসুস্থ অভিনেত্রী দিতি এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ শিশু জিহাদকে দেখতে।গতকাল গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় প্রিয়তি বসেছিলেন গণমাধ্যমকর্মী ও তাঁর ভক্তদের সঙ্গে। এর আগে প্রথম আলোর কার্যালয়ে ‘মিজ আর্থ’-এর মুকুট পরে এসেছিলেন। সে সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি জানান, এবার তিনি বাংলাদেশে এসেছেন ‘মিজ আর্থ’ প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। কারণ আর সবার মতো প্রিয়তিও মনে করেন, আনন্দ ভাগাভাগি করলে তা বাড়ে। শিগগিরই ঢাকার দুটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল ও চট্টগ্রামের একটি সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রম দেখতে এবং সেখানকার সদস্যদের অনুপ্রেরণা দিতে যাবেন তিনি।গণমাধ্যমকর্মী ও ভক্তদের সঙ্গে আড্ডায় প্রিয়তি জানালেন তাঁর এবারের দেশে আসার আরও কিছু পরিকল্পনা। বললেন, ‘প্রায় ১৪ বছর পর আমি বাংলাদেশে পয়লা ফাল্গুন উদ্যাপন করার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ কোনোভাবেই হারাতে চাইনি। এ নিয়ে আমার অনেক পরিকল্পনা ছিল। এবার বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে শহরে ঘুরে বেড়াব, বইমেলায় যাব।’২১ ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও প্রিয়তি থাকবেন দেশে। শ্রদ্ধা জানাবেন ভাষাশহীদদের প্রতি। এর পরপরই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মডেল ফিরে যাবেন আয়ারল্যান্ডে। | 200,844 |
সোহরাব হাসান | opinion | মতামত | ২৬ নভেম্বর ২০১৬, ০০:১২ | ২৬ নভেম্বর ২০১৬, ০০:১২ | সোহরাব হাসান,মতামত,লেখকের কলাম,কালের পুরাণ,রাজনীতি | null | হতাশ কুমিল্লা, উৎফুল্ল নারায়ণগঞ্জ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1027993 | ঢাকার বাংলাদেশ আর ঢাকার বাইরের বাংলাদেশ এক নয়। দূরত্ব যত কমই হোক, বাইরে গেলে ঢাকার শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তি মেলে। পা বাড়ালে একটু খোলা জায়গা, চোখ ফেরালে এক টুকরো আকাশের দেখা পাওয়া যায়।ঢাকা থেকে ঘরের পাশে আরশিনগর নারায়ণগঞ্জ। মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক নির্মিত হওয়ার পর যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে। চাকরি, লেখাপড়া ও ব্যবসার প্রয়োজনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ আসা-যাওয়া করেন। হেমন্তেও শীত না আসা সকালে যখন আমরা উৎসব পরিবহনের বাসে চাষাঢ়া মোড়ে নামি, যানজটে আক্রান্ত পুরো এলাকা। রিকশা, বাস, অটো-ইজিবাইকের উপদ্রব। কিন্তু ফুটপাতগুলো বেশ প্রশস্ত, হাঁটতে গেলে ঢাকার মতো গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগে না। চাষাঢ়া মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু সড়ক ধরে কয়েক পা এগোলেই নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব। আমরা যখন প্রেসক্লাবে, তখন রাস্তার পাশে নাসিরনগরের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিল। আয়োজক সিপিবি, বাসদ, ন্যাপ, ছাত্র ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংগঠন। কিন্তু আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মতো বড় দল কোনো কর্মসূচি নেয়নি।সম্প্রতি কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছিল এবং এখনো আছে। নির্বাচনের দিন-তারিখ ঠিক হওয়ায় নারায়ণগঞ্জের মানুষ যেমন উৎফুল্ল, তেমনি তফসিল না পেয়ে কুমিল্লাবাসী হতাশ। অনেকের ধারণা, ভালো প্রার্থী না থাকায় ক্ষমতাসীনেরা চাইছিলেন না নির্বাচনটি এখন হোক। বিএনপির সমর্থক কাউন্সিলরের রিট তাদের সুবিধা করে দিয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী পরীক্ষায় বারবার ফেল করা ইসির জন্য নারায়ণগঞ্জই সম্ভবত শেষ পরীক্ষা।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুই সিটিতে দুই প্রধান দলের অবস্থান বিপরীতমুখী। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের অবস্থান সংহত, কিন্তু কুমিল্লায় দুর্বল। আর কুমিল্লায় বিএনপি শক্ত অবস্থানে থাকলেও নারায়ণগঞ্জে অসংগঠিত। কেন্দ্রের আগ্রহ সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির জনপ্রিয় নেতা তৈমুর আলম খন্দকার সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হননি। দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। সাত খুনের মামলায় তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ওসমান পরিবারসহ আওয়ামী লীগের আরও কারও কারও বিরোধিতা উপেক্ষা করে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তাঁকেই মনোনয়ন দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘খেলায় জিততে হলে একজন স্ট্রাইকার প্রয়োজন। আইভী নারায়ণগঞ্জের স্ট্রাইকার। তাঁকে জিতিয়ে আনার দায়িত্ব দলের সব নেতা-কর্মীর।’ এরপরও দলের বিভক্তি কতটা কাটবে বলা কঠিন। আইভীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শামীম ওসমানের সমর্থকেরা কেউ ছিলেন না। তবে তাঁর ভরসা সাধারণ কর্মী ও নির্দল মানুষ, যাঁরা গত নির্বাচনেও তাঁর পাশে ছিলেন।কুমিল্লায় বিএনপিতে মেয়র মনিরুল হকের কার্যত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এক দশকেরওবেশি সময় তিনি পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন প্রায় অর্ধডজন। আমেরিকান চেম্বারের সাবেক সভাপতি আফতাব উল ইসলাম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সভাপতি আলফানুল হক রিফাত, ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি নূর উর রহমান মাহুমুদ তানিম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও নারী কাউন্সিলর আঞ্জুম সুলতানার নাম আলোচনায় আছে।কুমিল্লা আওয়ামী লীগে আফজল খান ও বাহাউদ্দিন বাহারের বিরোধ বেশ পুরোনো। গত নির্বাচনে আফজল খান প্রার্থী হয়ে ৩০হাজার ভোটে হেরেছিলেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা জানতে চাইলে বাহার বলেন, তিনি সাত বছর ধরে সাংসদ থাকলেও কোনো কমিটিতে নেই। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল যোগ্য প্রার্থী দিলে জিতবে। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগে কোন্দল থাকলেও সরকারদলীয় সাংসদ ও বিএনপিদলীয় সিটি মেয়রের মধ্যে বেশ সদ্ভাব আছে। দুজনই দাবি করেছেন, এ ভাব ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, কুমিল্লাবাসীর স্বার্থে। সিটি নির্বাচন নিয়ে সংশয় থাকলেও নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একজন বলেছেন, সবকিছুই নির্ভর করছে সরকারের ওপর। হাইকোর্ট তো নির্বাচন বন্ধ করতে বলেননি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন করতে বলেছেন। এক মাসের মধ্যেই সেটি সম্ভব।স্বাদে-গুণে বেশ কম হলেও কুমিল্লার প্রায় সব মিষ্টির দোকানের নাম মাতৃভান্ডার। কাপড়ের দোকানেও খাদি নামটি নানা বিশেষণে যুক্ত। সেখানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে, কিন্তু রাজনীতিকদের মতো রেষারেষি নেই। রসমালাই ও খাদি—দুটোই কুমিল্লার গর্ব। কুমিল্লার গর্ব করার মতো আরও অনেক কিছু আছে। নবাব ফয়জুননেসা চৌধুরানীর জন্ম কুমিল্লার লাকসামে, যিনি বেগম রোকেয়ারও অনেক আগে নারীশিক্ষার কথা বলেছেন। নিজে জমিদারি চালিয়েছেন, জনগণের কল্যাণে অনেক প্রতিষ্ঠান করেছেন। সাবেক আইসিএস কর্মকর্তা আখতার হামিদ খান এই কুমিল্লাতেই বার্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা গ্রামীণ অর্থনীতি গবেষণার প্রাণকেন্দ্র হয়ে আছে।ঢাকার বাইরে আরও অনেক শহরের মতো নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় গণপরিবহন নেই। অথচ নারায়ণগঞ্জে ১০ লাখ লোকের বাস, কুমিল্লায় ৫ লাখ। ফলে অটো, ইজিবাইক কিংবা রিকশাই ভরসা। কুমিল্লায় যত অটো, তার কয়েক গুণ ইজিবাইক। এসব ইজিবাইকের কোনো নিবন্ধন নেই, নেই চালকদের প্রশিক্ষণ। সেপ্টেম্বরে ইজিবাইকের দুর্ঘটনায় দুজন মারাও গেছেন সেখানে। তারপরও কর্তৃপক্ষ উদাসীন। দুই শহরের বাসিন্দারাই মনে করেন, যানজট ও জনগণের ভোগান্তি কাটাতে পাবলিক পরিবহনের বিকল্প নেই। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল সেটি হতে দেবে কি না সন্দেহ।নারায়ণগঞ্জের যেকোনো সড়কে বা ওয়ার্ডে গেলে সিটি করপোরেশনের কাজের প্রমাণ পাওয়া যায়। শহরের প্রায় সব সড়ক প্রশস্ত। খালগুলো দখলমুক্ত হয়েছে। ড্রেনেজব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। জলাবদ্ধতাও কমেছে। মেয়রের আক্ষেপ, সংস্কৃতিসেবীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কাজটি আরও আগে শুরু করলে ভালো হতো। মেয়র ভবনের সামনে দেখলাম, রাস্তার দুই পাশে সারি সারি ট্রাক। স্থানীয় এক সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করলাম, সড়কের ওপর ট্রাকস্ট্যান্ড কেন? বললেন, প্রভাবশালী মহল এখানে ট্রাকস্ট্যান্ড বসিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা আদায় করে। সিটি করপোরেশন প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়েও এটি সরাতে পারেনি। তবে আশার খবর, মেয়রের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১০ দিনের মধ্যে ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।নারায়ণগঞ্জে কী কী আছে, সেই তালিকার আগে কী কী নেই, সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জে মানসম্মত আবাসিক হোটেল নেই, অথচ দেশের নিট পোশাকের ৮০ শতাংশ উৎপাদিত হয় সেখানে। বিদেশি ক্রেতারা নারায়ণগঞ্জে এলেও দিন থাকতে তাঁদের ঢাকায় ফিরে যেতে হয়। হোটেল না থাকায় খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জে কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। অথচ দেশের অধিকাংশ জেলা শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ মনে করেন, তাঁরা প্রদীপের পাশে অন্ধকারেই রয়ে গেছেন।ঢাকায় যেমন বিউটি বোর্ডিং, কলকাতায় কফি হাউস, তেমনি নারায়ণগঞ্জে বোস কেবিন বিখ্যাত। বোস কেবিনের প্রতিষ্ঠাতা নৃপেন্দ্র বসু। এখন তাঁর নাতি তারক বোস দেখাশোনা করেন। এই বোস কেবিন প্রতিষ্ঠার পেছনে রাজনীতি ছিল—নৃপেন্দ্র বসু ওরফে ভুলুবাবু স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে এটি ছিল ফলপট্টিতে, ১ নম্বর রেলগেটের কাছে। ১৯৮৮ সালে এটি চেম্বার রোডে স্থানান্তরিত। নতুন নাম নিউ বোস কেবিন। ১৯৩৭ সালে সুভাষ চন্দ্র বসুকে গ্রেপ্তার করে কলকাতায় নেওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময়ে বোস কেবিনের মালিক ভুলুবাবু বোস কেবিন থেকে চা পাঠিয়ে তাঁকে খাওয়ান। সুভাষ বসু তাঁর চা খেয়ে নাকি খুব প্রশংসা করেছিলেন। সেই গল্প ভুলুবাবু যে কতজনের কাছে বয়ান করেছেন, তার হিসাব নেই।সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হওয়াই কুমিল্লাবাসীর একমাত্র দুঃখ নয়। তাঁরা মনে করেন, ষাটের দশকে কুমিল্লা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ঢাকা ও রাজশাহীর পর তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা ছিল কুমিল্লায়। কিন্তু তৎকালীন জাতীয় পরিষদের স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরী এক দিনের জন্য প্রেসিডেন্ট হয়ে সেটি চট্টগ্রামে নিয়ে যান (কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে অনেক পরে)। পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত বিমানবন্দরটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। কুমিল্লায় ইপিজেড করার সময় বলা হয়েছিল, বিমানবন্দরটি ফের চালু করা হবে। এখনো হয়নি।কুমিল্লা বিভাগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৮৬ সালে, বর্তমান সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহারের নেতৃত্বে। চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণাকালে চট্টগ্রাম বিভাগ ভেঙে কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলকে নিয়ে একটি এবং ঢাকা বিভাগ ভেঙে ফরিদপুরে আরও একটি বিভাগ করা যায় কি না, সেটি পরীক্ষা করে দেখতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রাম বিভাগ ভাগ হলে নতুন বিভাগ কুমিল্লাতেই হওয়ার কথা। কিন্তু ১০ মাসেও সেই ঘোষণা না আসায় কুমিল্লাবাসীর মন খারাপ।এত দুঃসংবাদের মধ্যেও একটি সুসংবাদ হলো, কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শচীন দেববর্মনের বাড়িটি উদ্ধার করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। সরেজমিন ঘুরে দেখলাম, শিল্পীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির সংস্কারকাজ ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যায়, ডিসেম্বর নাগাদ উদ্বোধন করা যাবে। কুমিল্লার কৃতী সন্তান শচীনকে যে বাংলাদেশ ভোলেনি, এটা তারই প্রমাণ।কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ—একযাত্রায় দুই ফল। দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে। নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ। কিন্তু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনিশ্চিত। একজন কাউন্সিলরের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সীমানাবিরোধ নিয়ে বাংলাদেশে অনেক নির্বাচনই বছরের পর বছর আটকে থাকে বা আটকে রাখা হয়। কুমিল্লায় কী হয়, সেটাই দেখার বিষয়।সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।sohrabhassan55@gmail.com | 268,876 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২০ আগস্ট ২০১৬, ০৭:৩৬ | ২০ আগস্ট ২০১৬, ০৭:৩৮ | অলিম্পিক,অ্যাথলেটিকস | null | ‘বাদ’ পড়া সেই যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরাই জিতল সোনা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/951985 | মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট রিলের হিটে ব্যাটন হস্তান্তরে ভজকট পাকিয়ে সবার শেষে দৌড় শেষ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিলের দৌড়বিদ কাউয়িজা ভেনাসিওর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ব্যাটন পড়ে যাওয়ায় নিজেদের ফের সুযোগ করে দিতে আপিল করে তারা। অ্যাথলেটিকসের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইএএএফ আবার দৌড়ানোর সুযোগও দেয় দলটিকে। পরে একাই দৌড়ে হিটে অষ্টম হওয়া চীনের (৪২.৭০ সেকেন্ড) চেয়ে কম সময় নিয়ে তারা ওঠে ফাইনালে।প্রথম দফায় বাদ পড়া যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরাই শেষ পর্যন্ত জিতেছে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট রিলের ফাইনাল। মার্কিন মেয়েরা সময় নিয়েছে ৪১.০১ সেকেন্ড। ৪১.৩৬ টাইমিংয়ে দ্বিতীয় জ্যামাইকান মেয়েরা। ৪১.৭৭ সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছে গ্রেট ব্রিটেন। স্টার স্পোর্টস ২। | 251,504 |
রয়টার্স | international | আন্তর্জাতিক | ১১ মে ২০১৭, ০০:১৫ | ১১ মে ২০১৭, ০০:১৫ | এশিয়া | 0 | উত্তেজনা নিরসনে প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়ায় যাব | http://www.prothom-alo.com/international/article/1176041 | শপথ নিয়েই কোরীয় উপত্যকার উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। প্রয়োজনে সমস্যা মেটাতে ‘পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে’ উত্তর কোরিয়া যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার শপথ নিয়েছেন উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত এই নেতা।প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সমস্যা অবিলম্বে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিণের নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন।দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপিত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট টানাপোড়েন নিরসনে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করারও আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জে-ইন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড স্থাপনে সিউলের অন্যতম বাণিজ্য সহযোগী বেইজিং ক্ষুব্ধ হয়েছে। চীন এটিকে তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে।৬৪ বছর বয়সী মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী ও উদারপন্থী রাজনীতিক মুন জে-ইন দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান নীতি থেকে সরে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা বাড়াতে চান। পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে আমি নিরাপত্তা সংকট সমাধানের চেষ্টা করব। যদি প্রয়োজন হয়, ওয়াশিংটন যাব। আমি বেইজিং ও টোকিও যাব। পরিস্থিতি অনুকূলে হলে পিয়ংইয়ংও যাব।’গতকাল সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুন জে-ইনকে জয়ী ঘোষণা করে।গতকাল প্রথম কর্মদিবসে প্রেসিডেন্ট সাবেক কারাবন্দী ইম জং-সিয়ককে তাঁর চিফ অব স্টাফ নিয়োগ দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এটি প্রেসিডেন্টের পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ। গণতন্ত্রপন্থী সাবেক আন্দোলনকর্মী ইম জং-সিয়ক সরকারের অনুমতি ছাড়া উত্তর কোরিয়া সফরের আয়োজনের দায়ে তিন বছর কারাভোগ করেছেন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুসারে, দেশটির নাগরিকদের উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়।প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদেও গতকাল নিয়োগ দেন। প্রবীণ উদার রাজনীতিক লি নাক-ইয়োনকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে এই নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। আর গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় দুই কোরিয়া সম্পর্কে অভিজ্ঞ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সুহ হুনকে।দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হে ক্ষমতা ছাড়ার পর গত মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনে জয়ী হন মুন জে-ইন।ধারণা করা হচ্ছে, নেতৃত্বের শূন্যস্থান পূরণে বাকি মন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ভবনের কর্মীদের দ্রুত নিয়োগ দেবেন প্রেসিডেন্ট।এদিকে গতকাল চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান। সি চিন পিং বলেন, পারস্পরিক আস্থা ও সমঝোতার ভিত্তিতে ‘যথাযথভাবে’ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিরোধ মোকাবিলা করতে রাজি আছে চীন। আর সিউলকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী’ আখ্যা দিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি মুনের সঙ্গে কাজ করতে প্রতীক্ষা করছেন। | 316,860 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মে ২০১৪, ০২:১৮ | ০৭ মে ২০১৪, ০২:১৯ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | মলম পার্টির ‘নেতা’ গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/210124 | চট্টগ্রামে মোহাম্মদ হোসেন ওরফে হাসেম ড্রাইভার নামের এক ব্যক্তিকে গত সোমবার রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ বলছে, তিনি মলম পার্টির দলনেতা৷ তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে৷ নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. বাবুল আক্তার বলেন, ২০১০ সালে এক ব্যক্তির মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ছিনতাই জগতে প্রবেশ হাসেমের। | 71,307 |
অনলাইন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৪ মার্চ ২০১৫, ১৩:৫০ | ২৪ মার্চ ২০১৫, ১৩:৫৩ | চলচ্চিত্র | 0 | ২৭ মার্চ ২০ প্রেক্ষাগৃহে ‘হরিযূপীয়া’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/485185 | এবারের স্বাধীনতা দিবসের একদিন পর মুক্তি পাচ্ছে গণহত্যার বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হরিযূপীয়া’। ২৭ মার্চ শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ২০টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পাবে ছবিটি।১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাঁদের এ দেশীয় দোসররা যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ‘হরিযূপীয়া’। চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি ছবিটি পরিচালনাও করেছেন গোলাম মোস্তফা শিমুল।নির্মাতা গোলাম মোস্তফা শিমুল জানিয়েছেন, ঢাকার যমুনা ব্লকবাস্টার, স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা, শ্যামলী ও জোনাকী হলে ছবিটি প্রদর্শনের সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও বরিশালেও ছবিটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে মোট ২০টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে ‘হরিযূপীয়া’।‘হরিযূপীয়া’ ছবির প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, কাজী রাজু, রিয়াজ মাহমুদ জুয়েল, পাভেল ইসলাম, সাব্বির আহমেদ, বীথি রানি সরকার, জুনায়েদ হালিম, শফিউল আলম, নাফা প্রমুখ।ছবি সম্পর্কে নির্মাতা জানান, হরিযূপীয়া শব্দটা ঠিক কত প্রাচীন তা নিশ্চিত করে বলাটা কঠিন। বহু শত বছর আগে হরপ্পায় যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল তার কারণে হরপ্পার আরও একটি পরিচয় ছিল হরিযূপীয়া হিসেবে। হরি শব্দটি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে বলা হয়েছে। আর যূপ হচ্ছে যূপকাষ্ঠ অর্থাৎ যে বিশেষ কাঠের ফাঁকে প্রাণীর গলা ঢুকিয়ে বলি দেওয়া হয়। যূপীয়া বলির স্থানটিকে নির্দেশ করে। হরিযূপীয়া নামটি এই ছবিতে গণহত্যার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।‘হরিযূপীয়া’ ছবির কাহিনিতে দেখা যাবে, একজন প্রত্নতত্ত্ব গবেষক যুদ্ধের কারণে একটি স্থানে খননের কাজ সমাপ্ত করতে পারেন না। মাঝপথে তাঁকে থেমে যেতে হয়। তবে থেমে যাওয়ার আগে সেই স্থানটিতে কিছু পোড়ামাটির টালি পান তিনি। টালিগুলোতে কিছু ছবি আঁকা ছিল। আর নিচে সামান্য কিছু লেখা ছিল। তরুণ গবেষক সেই লেখা আর ছবির অর্থ বুঝতে পারছিলেন না। তাই তিনি আরও কয়েকজন চিন্তাশীল মানুষের সাহায্য নেন। তাঁরা সেই ছবিগুলোতে কিছু বলতে চাওয়ার যে গল্পটা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। আর সেই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বাংলা আর বাঙালির নৃতাত্ত্বিক ইতিহাসের কিছু অংশ। তাঁরা খুঁজে পান ইতিহাসের কিছু গণহত্যার কথা। ইতিহাসের গণহত্যার ঘটনা খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা নিজেরাও গণহত্যার শিকার হন। মৃত্যুর আগে তাঁরা উপলব্ধি করেন, গণহত্যার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই, নেই কোনো নির্দিষ্ট সময়। এটি ঘুরে ফেরে কাল থেকে কালে, স্থান থেকে স্থানে, দেশ থেকে দেশে। | 125,520 |
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২২ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২৫ | খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,চুয়াডাঙ্গা | null | ‘এমপি স্যারের অনুমতি ছাড়া তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/44258 | ‘এমপি স্যারের (সাংসদ) অনুমতি ছাড়া আমার পক্ষে তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। আমি ফাইল নোট দিয়ে ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ম্যাডামের মাধ্যমে এমপি স্যারের কাছে পাঠিয়েছি। অনুমতি মিললেই আপনাকে তথ্য দেওয়া যাবে।’ তথ্য চেয়ে আবেদন করার পর দুই মাস ধরে একই কথা বলে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আশরাফ হোসেন।পিআইওর ওই বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ আলি আজগার বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কেউ যদি তথ্য চায়, পিআইও দিতে বাধ্য। তথ্য প্রদানে আমি পিআইওকে বারণ করিনি।’দামুড়হুদা উপজেলায় ২০১২-১৩ অর্থবছরের জুন মাসে বাস্তবায়িত বিশেষ টেস্ট রিলিফ (টিআর) তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পগুলোর নাম, বরাদ্দের পরিমাণ ও প্রকল্প সভাপতিদের নাম জানতে চেয়ে গত ২ জুলাই পিআইওর কাছে তথ্য অধিকার আইনে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেন প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম। কিন্তু গত দুই মাসেও এই দপ্তর থেকে কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি। তথ্যের জন্য বারবার ওই দপ্তরে গিয়ে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। তথ্য চেয়ে আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে তথ্য সরবরাহ না করায় গত ২১ জুলাই পিআইওর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি দপ্তরপ্রধান হলেও লিখিত অনুমতি ছাড়া তথ্য না দিতে আমার ওপর সাংসদের অলিখিত চাপ আছে। যেহেতু বিশেষ টেস্ট রিলিফ এমপি স্যারের নিজস্ব প্রকল্প; তাই এমপি স্যার বলেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া কাউকে যেন কোনো তথ্য না দিই।’ এই বক্তব্য লিখিত আকারে চাইলে পিআইও আবেদনপত্রের ছায়ালিপির ওপর লিখে দেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয় বিদেশে অবস্থান করায় উনার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। সম্প্রতি উনি দেশে ফিরেছেন। এখন উনার অনুমতি সাপেক্ষে খুব শীঘ্রই তালিকা দিতে পারব আশা করি।’ ২১ জুলাইয়ের পর তথ্যের জন্য একাধিকবার পিআইওর দপ্তরে গেলেও একই রকম বক্তব্য শুনে ফিরে আসতে হয়েছে।সর্বশেষ ২৯ আগস্ট পিআইওর দপ্তরে গিয়ে তথ্যের জন্য তাগাদা দিলে পিআইও জানান, সাংসদের লিখিত অনুমতি এখনো পাননি। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি দপ্তর থেকে একজন নাগরিকের যেকোনো ধরনের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে এবং আবেদনকারীকে তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক—বিষয়টি এদিন তাঁকে সঞ্চরণ করিয়ে দিলে পিআইও বলেন, ‘সব আইনই আমার জানা আছে, তবে মানা খুবই কষ্টকর। সাংসদের লিখিত অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত আমি তথ্য দিতে পারব না।’এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনিয়া আফরিন বলেন, ‘আপনার আবেদনপত্র পেয়ে তথ্য দেওয়ার বিষয়ে সাংসদের কাছে নির্দেশনা চেয়ে ২ জুলাই লিখিত জানানো হয়। লিখিত পত্রের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে পিআইওকে তথ্য অধিকার আইন মেনে আপনাকে তথ্য সরবরাহের জন্য আমি অনেক আগেই বলে দিয়েছি।’ | 13,878 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৯:৫৩ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ১১:১৭ | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,অপরাধ | 0 | সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৩ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/712012 | সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কাপাসডাঙ্গা এলাকায় আজ সোমবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবু সাঈদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ তিনজনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, তাঁরা সবাই ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।ভোর পৌনে চারটার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সাঈদের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার আওয়ালগাতি গ্রামে।পুলিশের ভাষ্য, সাঈদ আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার বিভিন্ন থানায় খুন ও ডাকাতিসহ ১১টি মামলা রয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন খুলনার কয়রা উপজেলার বাগলী গ্রামের আরিফুজ্জামান ওরফে অনু (২০), একই উপজেলার ঘুগরাকাটি গ্রামের তরিকুল ইসলাম গাজী (২১) ও পটুয়াখালীর বেতাগী উপজেলার সুপখালী গ্রামের সুবেল খান (২২)। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আচিনতলা গ্রামের আবুল কাসেম (৩০), তৈলকুপি গ্রামের সুমন ইসলাম (২৮), সেনপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৬) ও বান্দরবনের লামা উপজেলার লাহিনঝিরি গ্রামের রবিউল ইসলাম (১৮)।পুলিশ বলছে, ডাকাতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, রিভলবার, দুটি বন্দুকের গুলি, চারটি বন্দুকের গুলির খোসা, দুটি বড় দা, চারটি লোহার রড ও বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাপাসডাঙ্গা এলাকায় সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পুলিশ খবর পায়। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য ও পুলিশ যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও বোমা ফাটায়। বোমার আঘাতে দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ আবুল কাসেম, সুমন ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনাস্থলে অন্ধকারের মধ্যে আরও চারজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তাঁদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, সাঈদ মারা গেছেন। অন্য তিনজন আরিফুজ্জামান ওরফে অনু, তরিকুল ইসলাম গাজী ও সুবেল খান সেখানে চিকিৎসাধীন।সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরিমল কুমার বিশ্বাসের ভাষ্য, সাঈদ বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত তিনজনের বাম পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি লেগেছে। আহত ব্যক্তিরা আশঙ্কামুক্ত।সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখার (ডিএসবি) উপপরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। | 183,239 |
এস এম নজিবুল্লাহ চৌধুরী | education | শিক্ষা | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:০১ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:০৩ | শিক্ষাঙ্গন,স্বপ্ন নিয়ে | null | দেখা ও শেখা | http://www.prothom-alo.com/education/article/762295 | হাতে রংতুলি। সামনে কার্টিজ পেপার। মনোযোগ নিবন্ধ কাগজের দিকে। নিয়মিত বিরতিতে কাগজ থেকে চোখ চলে যাচ্ছে সামনের প্রকৃতিতে। কেউ দেখছেন গাছ, কারও চোখ লেকের জলে। কেউ দলবেঁধে, কেউ আবার একা। দুপুর বেলায় ছুটির দিন ছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ব্রিজ পার হয়ে ডান দিক ধরে লেকপাড়ে হাঁটলে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসে, এঁরা কারা? গাছের শিকড় আঁকায় ব্যস্ত এক শিল্পীর কাছে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করি। আকাশ দাস নামের এই আঁকিয়ে জানালেন, তাঁরা সবাই ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী। এটি তাঁদের ‘অবজারভেশন অব স্টাডি’র অংশ।পাশেই তাঁদের ক্যাম্পাস। বিস্তারিত জানতে ঢুঁ মারি সেখানে। ভেতরে পা রাখতেই কানে আসে গানের আওয়াজ। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে উঠতে গানের আবছা শব্দগুলো স্পষ্ট হয়ে আসে, ‘আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়, মনে পড়ে মোরে প্রিয়, চাঁদ হয়ে রবো আকাশের গায় বাতায়ন খুলে দিয়ো...।’ কাজী নজরুল ইসলামের গান। ভবনের একেবারে ছাদে পৌঁছে দেখা মিলল গায়িকার। নাম মিথীকা জাফরীন। সংগীত বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। বললেন, ‘বন্ধের দিন ছাড়া আমাদের এখানে প্রতিদিনই গানবাজনা হয়।’ একটু পরই মিথীকার ক্লাস শুরু হবে, তাই তাঁকে বিদায় দিতে হলো। খোলা ছাদের পাশেই ক্লাসরুমে চলে সংগীত-শিক্ষা। ক্লাস নিতে আসা শিক্ষক অসিত কুমার দে বলেন, ‘আমাদের এখানে চার বছর মেয়াদের সংগীত বিষয়ে প্রথম তিন বছর সংগীতের প্রাথমিক পাঠ ও তত্ত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়। শেষ বর্ষে শিক্ষার্থীরা বেছে নিতে পারেন রবীন্দ্র, নজরুল, শাস্ত্রীয় কিংবা লোকসংগীতের যেকোনো একটিকে। যেটা পুরোপুরিই ব্যবহারিক।’কথা হলো চারুকলা অনুষদের প্রধান শাহজাহান আহমেদের সঙ্গে। তাঁদের বিভাগ কেন ব্যতিক্রম, সেটা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি ছাড়া শিল্পচর্চা হয় না। অনার্স শেষ বর্ষে অবজারভেশন অব স্টাডি নামে কোর্স থাকলেও তার আগেই প্রকৃতির মাঝে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ হয় আমাদের শিক্ষার্থীদের। এই কোর্সের সময় দেশের প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোতে গিয়ে আমরা পাঠদান করি।’ কোলাজ আর্ট, রেনেসাঁ আর্ট, ফোক আর্ট, ওল্ড মাস্টার স্টাডি, গ্যালারি ম্যানেজমেন্ট, ইনস্টলেশন, রেস্টোরেশন অব আর্ট ওয়ার্কসহ (নষ্ট ছবি পুনরুদ্ধার করা) চারুকলার বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে এখানে।২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউডায় রয়েছে ছাত্র সংসদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমদ জানান, শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় ইউডা কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃত্ব। ইউডায় রয়েছে বিজনেস, ল্যাঙ্গুয়েজ, ক্যারিয়ার অ্যান্ড ওভারসিজ, কালচারাল, ফটোগ্রাফি, সিনে ও স্পোর্টস ক্লাব। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিক্ষার্থীদের শেখানো হয় ফরাসি ভাষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি সুস্থ মস্তিষ্ক ও নেতৃত্ববান মানুষ গড়ে তোলার ব্যাপারে জোর দিই। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রথম আট মাস আচার-আচরণ শেখানো হয়।’ | 199,467 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ আগস্ট ২০১৩, ২০:৫২ | ১৭ আগস্ট ২০১৩, ২১:১১ | -1 | null | তথ্যপ্রযুক্তি নির্যাতনের হাতিয়ার, প্রতিরোধেরও হাতিয়ার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/39955 | রংপুরের চাকরিপ্রার্থী এক নারী গিয়েছিলেন ছবি তুলতে। ছবি তোলা শেষ, কিন্তু ক্যামেরাম্যান ছবির নেগেটিভ দিতে অগ্রহণযোগ্য সব শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন। ওই নারী তখনই ডায়াল করেছেন ১০৯২১ নম্বরে। আধঘণ্টার মধ্যে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে নারীটিকে উদ্ধার করেন আর লোকটিকে আটক করেন।আজ বিকেলে ‘প্রথম আলো’ কার্যালয়ে ‘নারী নির্যাতন বন্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকটির আয়োজক ছিল ‘প্রথম আলো’ ও বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রেনার।বৈঠকে অংশগ্রহণকারী আলোচকেরা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নারী নির্যাতন বন্ধের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে রংপুরে। আবার ঢাকায় কিংবা কুষ্টিয়ায় নারী নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করলে নারীরা নির্যাতনের শিকার হবেন না, বরং নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তাঁরা সাইবার অপরাধ রোধে আইনের দ্রুত ও যথাযথ প্রয়োগের ওপর জোর দেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাইবার অপরাধ দমনে আরও দক্ষ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করা হয় আলোচনায়।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া এ রহমান বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্কতার বিষয়টি গ্রাম পর্যায় থেকে শহর পর্যন্ত সর্বস্তরের নারীদের জানাতে হবে।অন্যদিকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার নারীদের সহযোগিতায় পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, থানা মহিলা কর্মকর্তা ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর জোর দেন। তিনি মুঠোফোন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। রাতের বেলা কম পয়সায় কথা বলার যে সুযোগ, সেটা নিয়ে আরও ভাবার অনুরোধ জানান।মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাল্টিসেক্টোরাল প্রোগ্রাম অন ভিএডব্লিউর প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন বলেছেন, তাঁরা সব মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘সরকারকে মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে হবে, মানুষকে যেন সেবা পেতে সরকারের কাছে আসতে না হয় তেমন ব্যবস্থা করতে হবে।’মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শাহীন আনাম বলেছেন, ইন্টারনেটে কারও ছবি ছড়িয়ে পড়লেই তার সম্মানহানি হয়, এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক শামীমা পারভীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারী নির্যাতন বন্ধে তরুণদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপকমিশনার শামীমা বেগম, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রেনারের ভাইস প্রেসিডেন্ট রুবিনা এইচ ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক সুরাইয়া পারভীন, বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটির প্রেসিডেন্ট লুনা শামসুদ্দোহা, ড্যাফোডিলস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জাভেদ মোর্শেদ, এক্সেস টু ইনফরমেশন কর্মকর্তা সুপর্ণা রায়, ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের উদ্যোক্তা লাবণী আকতার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘প্রথম আলো’র সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। উপস্থিত ছিলেন ‘প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমান। | 9,755 |
-1 | education | শিক্ষা | ১৯ জুলাই ২০১৬, ০০:০২ | ১৯ জুলাই ২০১৬, ০০:০২ | পড়াশোনা | 0 | বাংলা ১ম পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/918208 | খন্দকারআতিক বহুনির্বাচনিপ্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা ১ম পত্র থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরের নমুনা দেওয়া হলো। কতকালধরে৩১. রাজা-বাদশাদের অধীনে থাকা ছোট রাজারা কী হিসেবে পরিচিত?ক. নবাব খ. মন্ত্রীগ. নায়েব ঘ. সামন্ত৩২. প্রাচীনকালে নারীরা তিলপল্লব কোন কাজে ব্যবহার করত?ক. প্রসাধন হিসেবেখ. ওষুধ হিসেবেগ. খাদ্য হিসেবেঘ. অলংকার হিসেবে৩৩. আগের দিনে গরুর গাড়িতে চড়ত কারা?ক. সাধারণ লোকেরা খ. নারীরাগ. শিশুরা ঘ. অবস্থাপন্ন লোকেরা৩৪. ঘোড়া বা হাতির খেলা সবাই দেখতে পারত না কেন?ক. বনে যেতে হতো বলেখ. নিষিদ্ধ ছিল বলেগ. আর্থিক সংগতির অভাবেঘ. বিপজ্জনক ছিল বলে৩৫. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে প্রাচীনকালে বিশেষভাবে শুঁটকির চল ছিল?ক. দক্ষিণাঞ্চলে খ. উত্তরাঞ্চলেগ. পশ্চিমাঞ্চলে ঘ. পূর্বাঞ্চলে৩৬. সেকালে সোনার অলংকার শুধু কারা পরতে পারত?ক. ধনীরাখ. শিশুরাগ. নারীরাঘ. ছেলেরা৩৭. প্রাচীনকালে বাংলাদেশে কোন বাদ্যযন্ত্রটির ব্যবহার ছিল?ক. তবলা খ. হারমোনিয়ামগ. গিটার ঘ. বীণা সুখ১. কে সুখ লাভ করবে?ক. যে উপকার করবেখ. যে জীবনসংগ্রামে জয়ী হবেগ. যে আত্মসচেতন হয়ে উঠবেঘ. যে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করবে২. কামিনী রায়ের ছদ্মনাম কোনটি?ক. ভদ্রমহিলা খ. বঙ্গমহিলাগ. সুখী নারী ঘ. নীল পদ্ম৩. কামিনী রায়ের কবিতায় কী প্রতিফলিত হয়েছে?ক. জীবনের অহংকার খ. জীবনের দুঃখ-কষ্ট গ. জীবনের মহত্ আদর্শ ঘ. দেশের কথা৪. ‘সুখ’ কবিতার উত্স কোনটি?ক. ‘দীপ ও ধূপ’ খ. ‘জীবনপথে’গ. ‘আলো ও ছায়া’ ঘ. ‘নির্মাল্য’৫. কামিনী রায় কোনটি লাভ করেন?ক. জগত্তারিণী পদক খ. পদ্মভূষণ পদকগ. স্বাধীনতা পদক ঘ. একুশে পদক৬. কামিনী রায়কে সম্মানিত করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়?ক. করাচি বিশ্ববিদ্যালয় খ. দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়গ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ঘ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৭. কামিনী রায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?ক. ১৮৬৩ সালে খ. ১৮৬৪ সালেগ. ১৮৬৫ সালে ঘ. ১৮৬৬ সালে৮. কামিনী রায় কত সালে মারা যান?ক. ১৯২৩ সালে খ. ১৯৩৩ সালেগ. ১৯৪৩ সালে গ. ১৯৫৩ সালে৯. ‘বীণ’ কী?ক. সম্পর্ক খ. একপ্রকার বিদেশি যন্ত্রগ. একপ্রকার গাছ ঘ. একপ্রকার বাদ্যযন্ত্র১০. ‘সৃজিলা’ অর্থ কী?ক. স্মরণ করলেন খ. স্বীকার করলেনগ. সৃষ্টি করলেন ঘ. সাজালেন১১. ‘জিনিবে’ দ্বারা কী বোঝায়?ক. জীবন ফিরে পাবে খ. জয় করবেগ. জেগে যাবে ঘ. জানতে পারবে১২. ‘সুখ’ কবিতার ‘বলি’ শব্দের অর্থ কী?ক. কষ্ট খ. প্রতিযোগী গ. নতুন ঘ. উত্সর্গ১৩. ‘সুখ’ কবিতার শিক্ষা আমাদের কী হতে বলে?ক. দুর্বল হতে খ. ভীরু হতেগ. অন্তর্মুখী হতে ঘ. উদার হতে১৪. পৃথিবীর সবাই কী চায়?ক. সুখ খ. ক্ষমতাগ. গাড়িবাড়ি ঘ. টাকাপয়সা১৫. মানুষের জীবন নিরর্থক, এ ধারণা—ক. আংশিক সত্য খ. সত্যগ. যথার্থ ঘ. ভুল১৬. মানুষ কখন আত্মকেন্দ্রিক হয়?ক. নিজের কথা ভুলে গেলেখ. আত্মীয়স্বজনকে খাওয়ালেগ. সবার সঙ্গে মিশলেঘ. শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে১৭. প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে না কারা?ক. বিত্তশালী মানুষ খ. পরোপকারী মানুষ গ. গরিব-দুঃখী ঘ. স্বার্থমগ্ন মানুষ১৮. বস্তুত মানুষ কেমন?ক. চরিত্রহীন খ. সামাজিক জীবগ. সেবাপরায়ণ ঘ. আত্মকেন্দ্রিক# বাকিঅংশছাপাহবেআগামীকালসঠিক উত্তরটি মিলিয়ে নাওবাংলা১মপত্রকতকালধরে৩১. ঘ ৩২. ঘ ৩৩. ক ৩৪. গ ৩৫. ক ৩৬. ক ৩৭. ঘসুখ১. খ ২. খ ৩. গ ৪. গ ৫. ক ৬. গ ৭. খ ৮. খ ৯. ঘ ১০. গ ১১. খ ১২. ঘ ১৩. ঘ ১৪. ক ১৫. ঘ ১৬. ঘ ১৭. ঘ ১৮. খশিক্ষক, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা | 241,566 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৫৪ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৫৬ | অপরাধ | 0 | আমিরাতে এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/47708 | কক্ষের ভাড়া পরিশোধ করা নিয়ে বাগিবতণ্ডা ও মারামারির সময় সঙ্গীকে হত্যা এবং আরেক সঙ্গীকে আহত করার অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুলিশ এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে।পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সীমান্ত এলাকা থেকে শারজাহ পুলিশ সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।গতকাল রোববার খালিজ টাইমস এ খবর জানিয়েছে। তবে অভিযুক্ত ও হতাহত ব্যক্তিদের কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, শারজাহ শিল্প এলাকার একটি বাসার একই কক্ষে ওই তিনজন বাস করতেন। কক্ষের ভাড়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে মারামারি বাধলে ওই বাংলাদেশি ছুরিকাঘাতে একজনকে হত্যা ও অপরজনকে আহত করেন। ২ সেপ্টেম্বর এ সহিংস ঘটনা ঘটে।খবরে আরও বলা হয়, মারামারির কথা তাঁদের এক প্রতিবেশীকে জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আহত ব্যক্তিকে আল কুয়েতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। নিহতের লাশ ফরেনসিক গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে।প্রতিবেশী ও পরিচিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রে পুলিশ জানায়, ওই তিনজন তিন বছর ধরে কক্ষটিতে একত্রে থাকতেন এবং বিভিন্ন কর্মস্থলে কাজ করতেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন বলেও জানায় পুলিশ। | 16,981 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৪০ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৪১ | -1 | 0 | হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের সেবায় নতুন সংগঠন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/311272 | দেশে বহু শিশু হৃদ্রোগে আক্রান্ত। প্রতিবছর এই সংখ্যা বাড়ছে। যথাসময়ে চিকিৎসা না পেয়ে এদের অর্ধেকই এক বছর বয়সের আগেই মারা যায়। জাতীয় অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এম আর খান বলেছেন, সরকারের একার পক্ষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত সব শিশুর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। এ জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজসেবকদের এগিয়ে আসতে হবে।গতকাল শুক্রবার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘চাইল্ড হার্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশ (সিএইচটিবি)’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এম আর খান এ কথা বলেন। অসহায় ও দরিদ্র শিশু হৃদ্রোগীদের চিকিৎসা ও সহায়তা করার লক্ষ্যে এ বছর ২৬ জুন চাইল্ড হার্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশ নামে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। গতকাল সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটির সভাপতি এম আর খান।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে প্রায় তিন লাখ শিশু হৃদ্রোগে আক্রান্ত। প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার শিশু এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে জন্ম নেওয়া প্রতি এক হাজার শিশুর ২০-২৫ জন জন্মগত হৃদ্রোগের শিকার। পরিসংখ্যানের সূত্র জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলন শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এক পর্যবেক্ষণমূলক জরিপ থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কোনো জরিপ নেই।এম আর খান বলেন, ‘শিশুদের হৃদ্রোগ যেমন জটিল বিষয়, তার চিকিৎসা ও রোগ ব্যবস্থাপনাও ব্যয়বহুল। আমাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী তো বটেই, সরকারের একার পক্ষেও সব রোগীর চিকিৎসার দায়ভার বহন করা দুঃসাধ্য।’ তিনি বলেন, শিশু হৃদ্রোগ চিকিৎসায় ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজসেবকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকাও অনেক বড়।সংবাদ সম্মেলনে দেশের শিশু হৃদ্রোগের বর্তমান পরিস্থিতি ও সিএইচটিবির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, সংগঠনটি শিশু হৃদ্রোগ চিকিৎসায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি, মানুষকে সচেতন করা, দরিদ্র শিশুদের চিকিৎসায় তহবিল গঠনে উদ্যোগ নেবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব শিশু হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ আবদুস সালাম। | 91,021 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:৪১ | ২৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:৪৬ | বিশ্লেষণ | 0 | ক্রেডিট কার্ড দৈনন্দিন জীবনের অংশ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1303671 | দেশে কার্ড-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে যেসব ব্যাংক এগিয়ে আছে, তার অন্যতম বেসরকারি ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহী করতে অনেক উদ্ভাবনী নতুন সেবার প্রচলন করেছে ব্যাংকটি। দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবসার হাল, কার্ড ব্যবহারে সুবিধা-অসুবিধা, গ্রাহক, নীতিনির্ধারকদের করণীয় নিয়ে প্রথমআলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ইবিএলের হেড অব কনজ্যুমার ব্যাংকিং নাজিম আনোয়ার চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আশরাফুল ইসলামপ্রথম আলো: বাংলাদেশে কার্ড ব্যবসা কেমন চলছে?নাজিম আনোয়ার চৌধুরী: ক্রেডিট কার্ড একসময় শখের জিনিস ছিল। ডেবিট কার্ড ব্যবহৃত হতো এটিএম থেকে টাকা তুলতে। ক্রেডিট কার্ডকে কার্ড হিসেবে মনে করা হতো না। সে সময় পার হয়ে এসেছি আমরা। এখন কার্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখনকার ব্যবসার কথা যদি বলি তাহলে বলা যায়, আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো করছি কিন্তু এর চেয়ে বহুগুণ ভালো করা সম্ভব ছিল। বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া চলতেই পারবেন না আপনি। কার্ড এখন মানুষের পরিচয়ের অংশ। আমি মনে করি, আস্তে আস্তে এমন ধারা চালু হওয়া উচিত। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা আনতে এর বিকল্প খুব বেশি নেই। সব ব্যাংক চেষ্টা করছে কার্ডের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংকও আমাদের নীতি-সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এককথায় বলতে গেলে আমরা সঠিক পথেই আছি, শুধু গতিটা একটু বাড়ানো দরকার। বেসরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারি ব্যাংকের এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত, কারণ তাদের গ্রাহকসংখ্যা সবচেয়ে বেশি।প্রথম আলো: একজন গ্রাহক কেন ইবিএলের কার্ড নেবেন?নাজিম আনোয়ার চৌধুরী: বাংলাদেশে এখন ৪০টি ব্যাংকের কার্ড সেবা আছে। বিনা মূল্যে খাওয়াদাওয়া, মূল্যছাড়ের মতো কিছু সুবিধা ছাড়া সব কার্ডই এক রকম, তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তাহলে একজন গ্রাহক কী দেখে ঠিক করবেন কার কার্ড নেওয়া উচিত? এককথায় এর উত্তর হলো, গ্রাহকসেবা। ঠিক এই জায়গায় ইবিএল ভালো করছে। কার্ড একটা প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য আর এ ধরনের যেকোনো পণ্যেই সমস্যা হতে পারে। ইবিএলে আমরা চেষ্টা করি যাতে গ্রাহককে কার্ড নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যদি গ্রাহক সমস্যায় পড়েই যান, তাহলে তা সমাধানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। ইবিএল কার্ড ব্যবসাকে খুবই গুরুত্ব দেয়। আমরা কার্ড নিয়ে সব সময় নতুন কিছু না কিছু করছি, নতুন গ্রাহক তৈরি করছি। এসব কারণে আমাদের ব্যবহারকারীরা সব সময় সবশেষ সুবিধার ও নিরাপদ প্রযুক্তির কার্ড ব্যবহার করেন।প্রথম আলো: গ্রাহকদের বাড়তি কী দিচ্ছেন?নাজিম আনোয়ার চৌধুরী: বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কার্ডে যত ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তার সবই আমাদের কার্ডে আছে। এর মধ্যে অনেক সুবিধা আমরাই প্রথম নিয়ে এসেছি। আমাদের সবচেয়ে ভালো সুবিধার একটি হলো বছরে ১৮ বার ব্যবহার করলে ক্রেডিট কার্ডে কোনো নবায়ন ফি দিতে হয় না। যিনি নিয়মিত কার্ড ব্যবহার করেন, তাঁর জন্য এর থেকে ভালো আর কিছু নেই। আমাদের সুদ আদায় নীতিও সবচেয়ে ভালো। যখনই লেনদেন করেন না কেন কমপক্ষে ১৫ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা সুদের সময়সীমা আপনি অবশ্যই পাবেন।প্রথম আলো: কার্ড ব্যবহারে আমাদের এখানে সমস্যাগুলো কী?নাজিম আনোয়ার চৌধুরী: আমাদের দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হলে টিআইএন অবশ্যই থাকতে হয়। আমাদের দেশে করদাতার সংখ্যা আমরা ভালোভাবেই জানি, এ কারণে ক্রেডিট কার্ডের প্রবৃদ্ধি খুবই কম। আমাদের প্রতিবেশী অনেক দেশেই কিন্তু এমন কোনো নিয়ম নেই। এর ফলে ওই সব দেশে আয় করা জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। কার্ড ব্যবহার করলে অর্থ ছাড়সহ নানা সুবিধা পাওয়া যায়, আবার নগদ অর্থ ব্যবহারে নির্ভরতা কমে যায়। সরকারও এখান থেকে বাড়তি কর পাচ্ছে। আমাদের নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়ে একটু দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এর মাধ্যমে অনেক বেশি লোককে ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব। একইভাবে কার্ড ব্যবহারকারীদেরও আরেকটু এগিয়ে আসা উচিত। কার্ড থাকলে সেটাই ব্যবহার করা উচিত। অনলাইন প্রতারণা নিয়ে একটা ভীতি আছে আমাদের। সচেতনতা ও নির্দেশনার মাধ্যমে আমাদের এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে।প্রথম আলো: নতুন একজন গ্রাহকের জন্য আপনার পরামর্শ কী?নাজিম আনোয়ার চৌধুরী: ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার একটা অভ্যাসের মতো। অভ্যাস যেমন ভালো-খারাপ দুটোই হয়, ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা একই হতে পারে। যদি ঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে এই কার্ড হতে পারে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের একটি উৎস। আর আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করে ফেললে তার ধাক্কা সামলানো খুবই কষ্টকর। তাই হিসাব করে খরচ করুন আর নিয়মিত কার্ডের বিল ব্যাংকে পরিশোধ করুন। | 335,285 |
অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী | life-style | জীবনযাপন | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১৬ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১৮ | আমার ডাক্তার,জীবনধারা | null | দাঁতের পোকা আসলে কী? | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/140383 | আমাদের দেশে দাঁতের ক্ষয় বা গর্ত হওয়াকে অনেকেই দাঁতের পোকা বলে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা শত চেষ্টায়ও দাঁতের পোকার অস্তিত্ব খুঁজে পাননি।তাহলে দাঁতের এই পোকা আসলে কী? সাধারণত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য আমাদের মুখের ভেতরে একধরনের জীবাণুর সঙ্গে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ এনামেলকে ক্ষয় করে এবং পরে গর্তের সৃষ্টি করে। এ রোগের নাম ডেন্টাল ক্যারিজ।চিনিমিশ্রিত দুধ বা অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় খাদ্য গ্রহণের পর দাঁতের গায়ে এনামেলের ওপর যে আবরণ সৃষ্টি হয়, তার নাম পেলিক্যাল। এই পেলিক্যালকেই বলা হয় ডেন্টাল প্ল্যাক বা দন্তমল। লাখ লাখ জীবাণুযুক্ত দন্তমলই শিশুদের ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁত ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ।শিশুদের দাঁত ওঠার পর যেকোনো সময় দাঁত ক্ষয় হতে পারে। এ থেকে ঘন ঘন জ্বর, দাঁতব্যথা, টনসিলের প্রদাহ ইত্যাদি হয়। দাঁতে পোকা হওয়া সত্যি শিশুদের জন্য বড় একটি সমস্যা।রক্ষা পাওয়ার উপায়দাঁত শক্ত ব্রাশ দিয়ে জোরে জোরে ঘষলেই দন্তমল পরিষ্কার হয় না। এর জন্য সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ও মাড়ি ব্রাশ করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অর্থাৎ, দাঁত ও মাড়ির ওপর-নিচে ও চারপাশে সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত দুবেলা পরিষ্কার করতে হবে যেন খাদ্যদ্রব্য এর গায়ে বা মাড়ির ফাঁকে লেগে না থাকে।দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার না থাকলে বহুদিন জমে থাকা দন্তমল নরম মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং সামান্য আঘাতেই রক্ত বের হয়ে আসতে পারে। কোনো কিছু দেখা বা বোঝার আগেই এই প্রদাহ শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই হঠাৎ একদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময় শিশু দাঁতব্যথায় কাঁদতে শুরু করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যেসব শিশু ফিডার দিয়ে দুধ খায় বা ঘুমের মধ্যেও ফিডার মুখে দিয়ে রাখে, তাদের মধ্যে দাঁত ক্ষয় বেশি হয়।শিশুদের চিনিজাতীয় বা মিষ্টি খাদ্য খাওয়ার পর কুলকুচা করা বা প্রয়োজনে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করান। সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করতে শেখান। বেশির ভাগ ডেন্টাল ক্যারিজ খালি চোখে দেখা যায় না। ব্যথা শুরু হলেই চিকিৎসক দেখানো ছাড়া নিয়মিত মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করানো উচিত; বছরে অন্তত দুবার।দুধদাঁত পড়ে যাবে বলে অনেকের ধারণা, এর বেশি যত্ন নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু দুধদাঁত সুস্থভাবে না পড়লে স্থায়ী দাঁত সঠিক অবস্থানে আসে না। বারডেম হাসপাতাল। | 49,377 |
প্রতিনিধি, কলকাতা | international | আন্তর্জাতিক | ১১ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৪৩ | ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪১ | ভারত,লোকসভা নির্বাচন,তৃণমূল কংগ্রেস,বিজেপি,কংগ্রেস | null | মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ পশ্চিমবঙ্গে | http://www.prothom-alo.com/international/article/1588323 | দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুটি লোকসভা আসনে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আসন দুটি হলো আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হলে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ দশরথ তিরকে ভোট দিতে গেলে, ইভিএম যন্ত্র খারাপ হওয়ায় তিনি ভোট না দিয়ে ফিরে আসেন। ভোটকেন্দ্রে তিনি তৃণমূলের ব্যাজ পরে ঢুকলে আপত্তি ওঠে। এরপর তিনি সবার সামনে বুকের ব্যাজ খুলে বেরিয়ে যান। পরে অবশ্য ইভিএম মেশিন এলে তিনি ভোট দিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের শীতলকুচির ভোটকেন্দ্রে তৃণমূল এজেন্টরা অন্য দলের এজেন্টকে ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, বিজেপির এক এজেন্ট এলে তাঁকেও বের করে দেওয়া হয়।অন্যদিকে তুফানগঞ্জের বিজেপির একটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরা। কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায় বিজেপির হাতে মারধরের শিকার হন তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতা। এতে আহত হন ওই নেতাসহ তিনজন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া কোচবিহারের দিনহাটার মাতালহাটে ভোটকেন্দ্রের কাছে বোমাবাজি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বিজেপির সমর্থকদের। এরপরই বিজেপির সমর্থকেরা সড়কের ওপর অবস্থান ধর্মঘটে বসেন। তাঁরা মাতালহাট-বক্সিরহাট সড়ক অবরোধও করেন। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ইভিএম যন্ত্র বিকল হওয়ার বিষয়টি ‘রহস্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কোচবিহারের নাটাবাড়িতে তৃণমূলের হামলায় দুই বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। এই ভোটকেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছেন মন্ত্রী।লাভপুরে উদ্ধার হয়েছে কিছু তাজা বোমা। কোচবিহারের সিতাইয়ে একজন বিজেপি এজেন্টকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। দিনহাটার ভূতকুড়ির বুথে ইভিএম ভাঙচুর করেছেন একদল সমর্থক। কোচবিহারের ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীর গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। বলরামপুরে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ায় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বুথে শাসক দলের জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে অন্যান্য স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের যে দুটি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে, সেই দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে রয়েছে বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম দল ফরোয়ার্ড ব্লক, আরএসপিসহ অন্যান্য কয়েকটি ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। মূলত এই দুটি আসন বাম দল ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপির দখলে ছিল। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর আসন দুটি চলে যায় তৃণমূলের হাতে। আলিপুরদুয়ার আসনে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দশরথ তিরকে, বিজেপির জন বারলা, আরএসপির মিলি ওরাওঁ, কংগ্রেসের মোহনলাল বসুমাতা প্রমুখ। আর কোচবিহার কেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন তৃণমূলের পরেশ চন্দ্র অধিকারী, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, ফরোয়ার্ড ব্লকের গোবিন্দ রায় ও কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী। এই দুটি কেন্দ্রে রয়েছে প্রচুর আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। রয়েছেন প্রচুর চা–শ্রমিকও। | 397,530 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৬, ১৭:০৮ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:৫২ | -1 | null | আসুন শান্তিপূর্ণ রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যাই: সৈয়দ আশরাফ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/731689 | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আসুন শান্তিপূর্ণ রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যাই। দেশে নির্বাচন হবে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে একটি জীবনও হত্যার প্রয়োজন হবে না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ এ কথা বলেন। গত বছরের ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়ার আন্দোলনের সমালোচনা করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘কিসের জন্য এ আন্দোলন? ৬৫ জনকে হত্যা করলেন, দেড় হাজার মানুষকে আহত করলেন। অর্থনীতির ক্ষতি হলো ১৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার। গাড়ি পোড়ালেন ৭০০। পরীক্ষা বন্ধ করলেন। কিসের জন্য? গণতন্ত্রের জন্য? গণতন্ত্রের জন্য মানুষ হত্যা করতে হয় না। ৭০০ গাড়ি পোড়াতে হয় না। আসলে তিনি দেশটা অকার্যকর করতে চেয়েছিলেন।’ ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, মাহবুব উল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ প্রমুখ। | 189,430 |
প্রতিনিধি, মহেশখালী, কক্সবাজার | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ০৯:৫০ | ২২ জুলাই ২০১৮, ১০:৪৪ | অপরাধ,মহেশখালী,কক্সবাজার | 0 | ‘অস্ত্রের কারখানায়’ অভিযান, আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ আটক ২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1537546 | কক্সবাজারের মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দুটি ‘অস্ত্রের কারখানায়’ অভিযান চালিয়েছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৪টি গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। আটক হয়েছেন দুই ব্যক্তি। গতকাল শনিবার রাতে মহেশখালীর কালারমারছড়া দুর্গম পাহাড়ে এই অভিযান চালানো হয়। র্যাব-৭-এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেহেদি হাসান এই তথ্য জানান।আটক হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন মো. আবদুল হাকিম (৩৮) ও মো. শহীদুল্লাহ (৩১)।র্যাব বলছে, আটক হওয়া হাকিম ও শহীদুল্লাহ অস্ত্র তৈরির কারিগর।কমান্ডার মেহেদি হাসান জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে গতকাল সন্ধ্যা থেকে তাঁরা মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান শুরু করেন। রাত আটটার দিকে হাকিম ও শহীদুল্লাহ নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। কালারমারছড়ার দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা থাকার তথ্য দেন তাঁরা। সেখানে র্যাব অভিযানে যায়। অভিযানের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধ হয়। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। অস্ত্রের কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। | 371,216 |
মোশতাক আহমেদ ও অরূপ রায়, সাভার থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:০৪ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৩:৪৩ | সাভার,উপজেলা পরিষদ নির্বাচন,ঢাকা বিভাগ | 0 | সাভারে ভোটার উপস্থিতি কম, জাল ভোটের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/157654 | বেলা একটায়ও সাভারের আশুলিয়ার পলাশবাড়ী হাজী জয়নুদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোটারের লাইন ছিল না। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, তখন পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ১৩৪। সন্ধ্যায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোট পড়েছে ৪৬৬টি। এখানে মোট ভোটার তিন হাজার ৮১০। পাশের ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রও একই রকম।পলাশবাড়ী এলাকার জেএলকে মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে আরও কম ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়। নারী ভোটারদের জন্য স্থাপিত এ কেন্দ্রে দুই হাজার ৮৬৫ জন ভোটারের মধ্যে বেলা একটা পর্যন্ত ১০০ ভোট পড়ে।শুধু এই কয়েকটি কেন্দ্রই নয়, কাল সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল ভোটের কারণে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করতে হয়েছে। এ অবস্থায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর মোরশেদ দুপুরে জাল ভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী থাকলেও মূলত আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফিরোজ কবীর এবং বিএনপি-সমর্থিত পরিবহন ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিনের মধ্যেই লড়াই হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৬০ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫টিতে বিএনপির প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। এখানে মোট ভোটার সাত লাখ ৮৫ হাজার ৩০৬।ভোট গ্রহণ স্থগিত: কালিয়াকৈর দারুল মোকাররম আলীম মাদ্রাসা, গেন্ডা অনির্বাণ কিন্ডারগার্টেন স্কুল, আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাবালে রহমত আইডিয়াল স্কুল, শিমুলিয়া এসপি হাইস্কুলসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সরকারদলীয় লোকজন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে জাল ভোট দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।এর মধ্যে কালিয়াকৈর দারুল মোকাররম আলীম মাদ্রাসা ও অনির্বাণ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয় বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন।বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কফিল উদ্দিন অভিযোগ করেন, একাধিক কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টদের বের করে দিয়ে সরকার-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়া হয়েছে।তবে সরকার-দলীয় প্রার্থী ফিরোজ কবীর এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। বরং তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, বৈধ ভোটার হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন কেন্দ্রে তাঁর সমর্থক ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এ জন্য ভোট কম পড়েছে। | 54,743 |
পিরোজপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৫৬ | ১১ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৫৭ | পিরোজপুর,বরিশাল বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/120429 | পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও কর্মচারীদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বরিশাল বিভাগীয় ও পিরোজপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হুমায়ুন কবির ২০১২-১৩ অর্থবছরের ভ্রমণভাতা, নৌকা ভাড়া, পরিবহন খরচ, ইউনিয়ন কমিউনিটি সভার খরচসহ ২০ জন নারী কর্মীর নামে জনপ্রতি চার হাজার টাকা করে ভ্রমণভাতার বিল তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া কর্মচারীদের স্বাক্ষর জাল করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মাঠকর্মী কানন বালা, শাহানা বেগম ও শামীমা আক্তার জানান, তাঁরা হুমায়ুন কবিরের নানা অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করায় গত বছরের নভেম্বরে তিনি তাঁদের বেতন-ভাতা প্রদান স্থগিত করেন।হয়রানির শিকার একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করেন, হুমায়ুন কবির গত ডিসেম্বর থেকে ২৭ জন মাঠকর্মীর বেতন-ভাতা আটকে রেখেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন হাজরা বলেন, হুমায়ুন কবির তিনি বেশির ভাগ সময়ই কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। হুমায়ুন কবির তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাঠকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। এ কারণে তাঁদের বেতন-ভাতা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’ বরিশাল বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিচালক হরিপ্রসাদ পাল জানান, হুমায়ুন কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। | 42,773 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৭ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:২০ | গোদাগাড়ী,অপরাধ,রাজশাহী,মাদক,খুন | null | রাজশাহীতে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1578619 | রাজশাহীতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মতিউর রহমান ওরফে মতি (৪০) নামের এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দ্বিগ্রাম এলাকায় রাস্তার পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। মতিউরের বাড়ি গোদাগাড়ীর মাদারপুর রেলবাজার মহল্লায়।পুলিশের দাবি, মতিউর রহমান একজন মাদক ব্যবসায়ী বলে এলাকায় জনশ্রুতি আছে।গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশের বুক ও কপালে গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ওসি বলেন, কে বা কারা মতিউর রহমানকে হত্যা করেছে, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত নন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।ওসি বলেন, মতিউর রহমানের নামে ২০০৬ সালে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা রয়েছে। তাঁর নামে মাদকের কোনো মামলা নেই। তবে এলাকায় জনশ্রুতি আছে যে তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী। সেই হিসেবে তাঁকে মাদক ব্যবসায়ী বলা যায়। দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্বের জের হিসেবে তিনি খুন হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। | 390,134 |
-1 | opinion | মতামত | ০১ এপ্রিল ২০১৮, ১১:১৭ | ০১ এপ্রিল ২০১৮, ১১:২০ | সম্পাদকীয়: | null | অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি নয় | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1461266 | বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের বক্তৃতা–বিবৃতিতেও কিছুটা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এসেছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আসলে কী, তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। তাঁরা দ্রুত ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে কারাগারে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং তাঁকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছেন।অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রয়োজন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সরকার অমানবিক নয়। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিলে তাঁকে বিদেশে পাঠানো হবে।উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। কয়েক দিন আগে বিএনপির নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। কিন্তু গত বুধবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানির দিন তাঁকে বিচারিক আদালতে হাজির না করায় তাঁর আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, তাঁর শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে আগে থেকে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে পরদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল, তা–ও স্থগিত করা হয়।এই পরিস্থিতিতে বিএনপির তরফে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সাক্ষাৎ চাওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, কারা আইনে তেমন সুযোগ নেই। কারা চিকিৎসক বিবিসিকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার আগে থেকেই হাঁটুতে যে সমস্যা রয়েছে, এর বাইরে কোনো সমস্যা নেই। আমার মনে করি এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক বিতর্ক যেমন কাম্য নয়, তেমনি বিভ্রান্তি দূর করার দায়িত্বও সরকারের। তিনি যত দিন কারাগারে থাকবেন, নিয়ম অনুযায়ী তত দিন কারা কর্তৃপক্ষ তঁার প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসার উদ্যোগ নেবে—সেটাই প্রত্যাশিত। বিএনপির নেতারা তাঁর অসুস্থতা সম্পর্কে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সরকারের উচিত হবে তা দূর করা। এই প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টিও এসে যায়। বিচারিক আদালতের রায়ের পর হাইকোর্ট তাঁকে চার মাসের জন্য জামিন দিলেও আপিল বিভাগ সেই আদেশ স্থগিত করে ১০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। খালেদার আইনজীবীরা আপিল বিভাগের এই আদেশকে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন।খালেদা জিয়া শুধু একটি বড় দলের প্রধানই নন, তিনি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সরকার অমানবিক নয়। আমরা আশা করব, তাদের কাজেও এর প্রতিফলন ঘটবে। আমরা চাই খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত অবসান হোক। প্রয়োজনে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন জনগণের সামনে তুলে ধরা হোক। | 359,681 |
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:৪৩ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:৪৪ | মির্জাপুর,টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ | 0 | কুয়াশা আর দুর্ঘটনায় স্থবির ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1054035 | ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ শুক্রবার ভোর থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে শুক্রবার সকালে মির্জাপুরে একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়লে মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।যানজটের কারণে মহাসড়কে চলাচলকারী শত শত যানবাহনের যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ক্যাডেট কলেজ থেকে নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজট চলছিল। পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল হঠাৎ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু গভীর রাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনের গতি কমে যায়। এ কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কে মির্জাপুর উপজেলার আছিমতলা এলাকায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকাগামী ইউএস ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এ সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।দুর্ঘটনার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি ট্রাক বিকল হওয়ায় যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। এতে সকালে গোড়াই থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী পিকআপ ভ্যানে থাকা মাছ ব্যবসায়ী রহিম তালুকদার ও আলম মিয়া জানান, সকাল সাতটার দিকে তাঁরা ঘন কুয়াশার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর যানজটে পড়েন। এ সময় তাঁরা এক ঘণ্টার রাস্তা প্রায় চার ঘণ্টায় পাড়ি দিয়ে বেলা ১১টায় মির্জাপুর পৌঁছান। যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ বিকল হওয়া ট্রাক রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোতালেব হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনের গতি কিছুটা কম রয়েছে। পুলিশ যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। | 280,604 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:১৪ | ১৬ এপ্রিল ২০১৬, ২০:২৭ | -1 | 0 | বাঁশখালীর ইউএনও ও ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/831253 | বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার আসামিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন গন্ডামারা ইউনিয়ন বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা লোকজন ও পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন বিদ্যুৎ প্রকল্প না করারও দাবি জানান।আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব দাবি করেন নেতারা।সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল জলিল, গন্ডামারা ইউনিয়ন বাঁচাও আন্দোলন কমিটির পৃষ্ঠপোষক মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, কমিটির সভাপতি বদি আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, সহসভাপতি শফকত চাঁটগামি, আবদুর রহমান, আমিনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সভায় জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জনগণের ক্ষতি করে কোনো প্রকল্প করা হবে না। প্রকল্প বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ দিয়ে লোকজনকে বোঝানো হবে। লোকজন চাইলে প্রকল্প হবে। এটা আধুনিক যুগ। বিদ্যুতেরও চাহিদা রয়েছে। আসলে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। যাঁদের জায়গায় প্রকল্প হবে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও পুনর্বাসন করা হবে। | 220,518 |
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক | economy | অর্থনীতি | ১১ জুলাই ২০১৩, ০০:১৫ | ১১ জুলাই ২০১৩, ০০:১৬ | বাণিজ্য,শেয়ারবাজার | 0 | সানোফি-এভেন্টিস ৭% লভ্যাংশ দেবে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/22178 | সানোফি-এভেন্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২০১২ সালের জন্য ৭ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো. মুনসুর আলী শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দিলীপ কুমার শর্মা, উপসচিব মো. জিয়াউর রহমান খান ও মো. মফিজুল হক, সানোফির দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) ভার্জিনি বোছিনহা, সানোফি-এভেন্টিস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আসিম জামাল এবং পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মুহাম্মদ তাজদিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি। | 1,927 |
-1 | opinion | মতামত | ০৬ মে ২০১৭, ০১:০৬ | ০৬ মে ২০১৭, ০১:০৬ | সম্পাদকীয়: | 0 | এসএসসির ফল | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1170051 | চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের অভিনন্দন জানাই। পরপর দুই বছর পিছিয়ে থাকার পর এবার গণিতে কিংবা বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার বৃদ্ধিও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।কিন্তু একই সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় যে বিপুলসংখ্যক (৩ লাখ ৫০ হাজার ২৪০ জন) শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলো, স্বীকার করতে হবে সেটি দেশ ও জাতির জন্য বিরাট অপচয়। এরা ১০ বছর ধরে কেবল বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেনি, প্রাথমিক ও জুনিয়র সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এসএসসিতে অবতীর্ণ হয়েছে। বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজনও শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ না হওয়া আরও দুর্ভাগ্যজনক।এবার ১০ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা গতবারের চেয়ে ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ কম। ৭ বছরের মধ্যে চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার সর্বনিম্ন হওয়ার পেছনে নীতিনির্ধারকেরা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের পদ্ধতি সংস্কারের কথা বললেও সেটি প্রকৃতপক্ষে কতটা সংস্কার, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। এত দিন উদারভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের নামে ‘ঢালাও পাস’ করিয়ে দেওয়ার যে প্রবণতা ছিল, শিক্ষা ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য তা ছিল ক্ষতিকর। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি এখন সেই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে থাকে, তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু একই সঙ্গে এর আগে উদারতা দেখিয়ে পাস করানোর নীতির কারণে যে প্রজন্মের ক্ষতি করা হলো, তার জন্য জবাবদিহিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।সময়োপযোগী মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। একটি শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ২৫ শতাংশ কমে যাওয়া কিংবা আরেকটি বোর্ডের ৯০-এর ঘর অতিক্রম করার মধ্যে কোনো ‘কারসাজি’ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এক বছর যে বোর্ডের ফলাফল নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়, পরের বছর সেই বোর্ডের ফল ভালো হয়ে যায়। এটিও শুভ লক্ষণ নয়।আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে উচ্চশিক্ষার ভিতটি তৈরি হয় মাধ্যমিক পর্যায়েই। শিক্ষার এ পর্যায়ে কোনো গলদ থাকলে উচ্চশিক্ষায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। অতএব, প্রশ্নপত্র তৈরি ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বীকৃত মান রক্ষার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে পাঠদানের দক্ষতা-যোগ্যতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। শিক্ষার মান ধরে রাখতে পরীক্ষার ফলাফলের অসংগতি দূর করতে যে নিবিড় ও নিরন্তর তদারকি প্রয়োজন, সেই সরল সত্যটিও আশা করি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে রাখেন। | 315,765 |
ফরিদপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জুন ২০১৫, ১৮:৪৬ | ২৫ জুন ২০১৫, ১৮:৪৭ | ফরিদপুর,অপরাধ | null | ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ৩,পরিবারের দাবি মাছ ব্যবসায়ী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/562276 | ফরিদপুরের সদর উপজেলার বদরপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের ডাকাত দলের সদস্য বলেই দাবি করছেন। তবে নিহত তিনজনের কেউই ডাকাত নয় বলে দাবি করেছে তাঁদের পরিবার। পরিবারের দাবি তাঁরা মাছ ব্যবসায়ী।নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা গ্রামের মো. মোশাররফ শেখ (৪৫), খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৩৫) ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বাচ্চু সরদার (৪০)। নিহত ব্যক্তিদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত মোশাররফের মামাতো ভাই ছিলেন রেজাউল আর ভায়রা ভাই ছিলেন বাচ্চু সরদার।এদিকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে এলাকাবাসী সদরের কৃষ্ণ নগর ইউনিয়নের গঙ্গাবর্দী এলাকা থেকে ডাকাত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটককৃতরা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের ময়েননদিয়া বাজার এলাকার আকতার মীর (৪০) ও ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ফুকরা গ্রামের আরিফ মোল্লা (৩৫)।ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুজ্জামান জানান, আটক আকতার একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি, বোয়ালমারী, সালথাসহ বিভিন্ন থানায় খুন, ধর্ষণ ও ডাকাতিসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে। আরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একই জাতীয় অভিযোগে মোট পাঁচটি মামলা আছে। তবে নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলার কথা বলেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।আমিনুজ্জামান বলেন, ১৫ সদস্যের একটি ডাকাতদল এ ডাকাতির চেষ্টা চালায়। এর মধ্যে তিনজন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং বাকি ১০ জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চার থেকে পাঁচ শ অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা ও ১৫ জনকে আসামি করে ডাকাতির প্রস্তুতি চেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।নিহত মোশাররফের মা সুফিয়া বেগম বলেন, তাঁর ছেলেসহ কেউই ডাকাত নয়। তিনজনে একত্রে মাছের ব্যবসা করেন। বিভিন্ন ঘের থেকে মাছ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন। মোশাররফের পালসার নামের একটি মোটরসাইকেল আছে। সেই সাইকেলে চড়ে এরা ব্যবসা তদারকি করে।মোশাররফের স্ত্রী রাফুজা আক্তার জানান, গত মঙ্গলবার সকালে তাঁরা মাছের টাকা সংগ্রহ করতে ফরিদপুরে যান। ওই দিন তাঁরা ফরিদপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে ওঠেন। বুধবার রাতে মোশররফের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোশাররফের ফোনটি চালু হলে সেটি এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ধরেন। তিনি মোশাররফের খোঁজ নিতে তাঁদের ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন।এদিকে ফরিদপুর সুন্দরবন আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক যতীন প্রথম আলোকে জানান, ২৩ জুন মঙ্গলবার ওই তিন ব্যক্তি সুন্দরবন আবাসিক হোটেলের ৩০৮ নম্বর কক্ষটি ভাড়া করে সেখানে অবস্থান করছিলেন।এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি কৈজুরী ইউনিয়নের বদরপুর, হারোকান্দি, পিয়ারপুরসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটছিল। গত এক সপ্তাহে বদরপুর এলাকায় চারটি ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসী ডাকাতদের প্রতিরোধে সচেতন ছিল। বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনজন অচেনা ব্যক্তিকে একটি মোটরসাইকেলে করে ফরিদপুর স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ের পেছনে বদরপুর হিন্দু পাড়া এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে এলাকাবাসী আটক করে। এ সময় বিভিন্ন মসজিদের মাইক থেকে ‘এলাকায় ডাকাত পড়েছে আপনারা প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন’ ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী বদরপুর বাজার এলাকায় জড়ো হয়।প্রত্যক্ষদর্শী চারজন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিনজনের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে বাদরপুর বাজার সংলগ্ন একটি স্কুল ক্যাম্পাসে নিয়ে তাঁদের লাঠি দিয়ে প্রচণ্ডভাবে পেটানো হয়। তবে তাদের কাছে দেশীয় বা আগ্নেয়াস্ত্র জাতীয় কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আরিফ ইসলাম জানান, গণপিটুনিতে আহত তিন ব্যক্তিকে গতকাল রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। | 147,686 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৮ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৮ | গাজীপুর,বিশাল বাংলা | 0 | উত্ত্যক্ত করায় যুবককে গণপিটুনি পুলিশে সোপর্দ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/460348 | গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শিপন রানা নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার তেরিচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী, ছাত্রীটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তেলিরচালার হলিচাইল্ড পাবলিক স্কুলের এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল শিপন। একপর্যায়ে কুপ্রস্তাবও দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে অপহরণ ও অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে কয়েক মাস আগে সালিস বৈঠকও হয়।গতকাল স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়েটিকে আবারও অপহরণ করে নেওয়ার হুমকি দেয় শিপন। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বিকেল চারটার দিকে শিপনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শিপনকে আটক করে নিয়ে যায়। | 118,001 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | economy | অর্থনীতি | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:০১ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:০৩ | -1 | null | ইসলামী ব্যাংকের পর কমার্স ব্যাংকেও রদবদল: অর্থমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1055975 | ইসলামী ব্যাংকের পর এবার বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকেও রদবদল করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ সোমবার দুপুরে সিলেটের লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠে সিলেটের চা-বাগান শ্রমিকদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের মতো কমার্স ব্যাংকেও রদবদল করা হবে। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন হবে।’ এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে সরকারের সাবেক সচিব আরাস্তু খান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার আরাস্তু খান পদত্যাগ করেন এবং নতুন পরিচালক হিসেবে ইসলামী ব্যাংকে যোগ দেন। ওই দিন নতুন পরিচালক হিসেবে পর্ষদ সভায় যোগ দিয়েই ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন কাউকে এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি।আজ দুপুরে অর্থমন্ত্রী তিন দিনের সফরে সিলেট এসেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি বেসরকারি একটি বিমানে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি চলে যান লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠে। সেখানে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন একটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় চালু হওয়ায় চা-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা শেষে অর্থমন্ত্রী জেলার উন্নয়ন সভায় যোগ দিয়েছেন। সন্ধ্যায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক ফুটবল কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। | 281,530 |
পিরোজপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:১৯ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:২০ | পিরোজপুর,বরিশাল বিভাগ | 0 | নামের মিল থাকায় জেল খাটছেন চা–বিক্রেতা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1131231 | আসামির সঙ্গে নামে মিল থাকায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের কাওসার উকিল নামের এক চা-বিক্রেতা কারাভোগ করছেন। ভান্ডারিয়া থানা-পুলিশের ভুলে তিনি বিনা বিচারে আট দিন ধরে কারাগারে আছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।পুলিশ ও কাওসারের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়ের করা একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামের হাকিম উকিলের ছেলে কাওছার উকিল। ২৪ মার্চ ভান্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন চক্রবর্তী কাওছার উকিলকে গ্রেপ্তার করতে চরখালী এলাকায় যান। এ সময় তিনি উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের আবুল হাসেম উকিলের ছেলে চরখালী ফেরিঘাট এলাকার চা-বিক্রেতা কাওছার উকিলকে গ্রেপ্তার করেন। পরদিন কাওছারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর থেকে কাওছার কারাগারে রয়েছেন। বয়স, পিতার নাম ও গ্রামের মিল না থাকার পরও শুধু নামের মিল থাকায় কাওছার উকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।কাওসার উকিলের ছোট ভাই জাকারিয়া উকিল বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় আমার ভাই বলেছিল তার নামে কোনো মামলা নেই। তারপরও বিষয়টি আমলে না নিয়ে যাচাইবাছাই না করে তাকে গ্রেপ্তার করে। আমরা গরিব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। চা বিক্রি করে ভাই পাঁচ সদস্যের পরিবার চালান। এনজিও ব্র্যাকের কিস্তি আছে। ভাই জেলে থাকায় অনাহারে কাটছে তার পরিবারের সদস্যদের। কিস্তির টাকা দিতে পারছে না।’মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার নবীনগর গজালমারী গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে শিমু আক্তার তাঁর স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আসামিদের স্থায়ী ঠিকানা ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামে।খুলনা জজ আদালতের আইনজীবী আবদুল মজিদ জানান, বিনা অপরাধে জেলহাজতে থাকা কাওসার উকিলের জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।ভান্ডারিয়া থানার এসআই সুজন চক্রবর্তী ভুলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নিরপরাধ হওয়ায় কাওসারকে মুক্ত করতে তিনি নিজে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, আসামির নামে মিল থাকায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। | 308,787 |
জেনিফার কামাল | life-style | জীবনযাপন | ১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৫ | ১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৩৭ | নকশা,ফ্যাশন | 0 | পায়ের স্বস্তিতে... | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/833446 | ফ্যাশনে জুতা-স্যান্ডেলের আবেদন পোশাকের চেয়ে কম নয়। সময়ের সঙ্গে বদলে যায় ফ্যাশন। ঋতুভেদেও কিন্তু জুতার নকশায় পরিবর্তন আসে। গরমে ভারী উপাদানের জুতা পরে চলতে অস্বস্তিই লাগে অনেকের। আরাম পাওয়া যাবে, পা ঘেমে যাবে না—তরুণীরা এ সময় এমন জুতার খোঁজেই থাকেন।লা মোডের ডিজাইনার ফাহমিদা ইসলাম বলেন, এখনকার স্লিপারগুলো পরার ক্ষেত্রে স্বস্তি, আরাম ও আধুনিক ডিজাইনকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। স্যান্ডেলগুলোতে দেখতে পাওয়া যায় ডিজাইনের ভিন্নতা, রঙের বৈচিত্র্য। বোতাম, ফুল, ফিতা আর কৃত্রিম পাথর দিয়ে ডিজাইন করা হচ্ছে হালফ্যাশনের স্যান্ডেল ও জুতায়।নতুন ডিজাইনে দুই ফিতার বাইরেও দেখা যায় হরেক ডিজাইন। তবে গরমের জন্য তা স্লিপারের মধ্যে হওয়াই ভালো। চামড়া বা রেকসিনের স্লিপারের সবচেয়ে ভালো সুবিধা হচ্ছে এটা অনেক জায়গায় সহজেই ব্যবহার করা যায়। সেটা ক্লাসেই হোক বা ছোটখাটো কোনো উৎসব বা হোক সেটা কোনো ভ্রমণে। এসব স্যান্ডেলে থাকছে ফিতার ডিজাইনে ভিন্নতা। দেখতে পাবেন ক্রস, রাউন্ড, সেমি রাউন্ড, বেল্টের মতো ফিতার নকশা।ক্যাটস আইয়ের ডিজাইনার রুম্মাইল্লা সিদ্দিকী বলেন, গরমে এগিয়ে রাখা যায় কাপড়ের তৈরি জুতা। এ ধরনের সময়োপযোগী জুতার মধ্যে সবচেয়ে জুতসই হবে স্নিকার। কাপড়ের জুতার ক্ষেত্রে কাপড়টা দেখে নেওয়া জরুরি। ডেনিমের তৈরি জুতায় আরাম পাবেন।গুলশান ডিসিসি মার্কেটের পাদুকা সম্ভারের একজন বিক্রয়কর্মীর কাছ থেকে জানা গেল, এখানকার স্যান্ডেলের বেশির ভাগই বিদেশি। মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা। কম বয়সীরা বেশি কাজ আছে এমন জমকালো দুই ফিতার স্যান্ডেল বেশি পছন্দ করছেন। একটু বয়স্করা খোঁজেন আরামদায়ক দুই ফিতার স্যান্ডেল। একদম ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে দুই ইঞ্চি হিল সব ধরনের স্যান্ডেলই আছে। বাজার ঘুরে দেখা গেল, গরমে চলছে গ্ল্যাডিয়েটার। এ ধরনের দুই ফিতার স্যান্ডেলে নতুনত্ব এসেছে গোড়ালির অংশে। পায়ের গোড়ালি থেকে ওপরের বেশ খানিকটা অংশ পর্যন্ত থাকে বাঁধার মতো স্টাইলিশ ফিতা। এ স্যান্ডেলের ফিতা বাঁধা হচ্ছে কখনো পায়ের গোড়ালিতে, কখনো খানিকটা ওপরে।লা মোডের ডিজাইনার ফাহমিদা ইসলাম বলেন, স্পঞ্জের সঙ্গে ভেলভেট কাপড় দিয়ে কাজ করা স্যান্ডেলগুলোও গ্রীষ্মের ধুলাবালুতে সহজেই ধুয়ে পরিষ্কার করে পরা যায়।অ্যাপেক্সের ডিজাইনার ফারিয়া রাহমান বলেন, গরমে কাপড়, কাঠ, স্পঞ্জ, কৃত্রিম ও খাঁটি চামড়ার তৈরি দুই ফিতার স্যান্ডেলের চাহিদা বেশি তরুণীদের কাছে। তাঁদের পছন্দের তালিকায় আছে স্ট্র্যাপের স্যান্ডেলও। ফ্যাশন-সচেতন মেয়েরা একেবারে সাদামাটা স্যান্ডেল পরতে চায় না বলে ক্রস, রাউন্ড, সেমি রাউন্ড ফিতার সঙ্গে লেস মিলিয়ে বিভিন্ন নকশার স্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। স্ট্র্যাপের স্যান্ডেলে অনেক ফিতার ব্যবহারে নকশাটাও হয় বেশ বাহারি। গতানুগতিক রংগুলোর পাশাপাশি বেগুনি, সবুজ, লাল, হলুদ সব রঙের স্যান্ডেলও পাওয়া যাচ্ছে।কোথায় পাবেন ও দামদরআড়ং, মায়াসির, বিবিয়ানা, মান্ত্রা, যাত্রা, এনা লা মোড, কাভা কাভা, রাখী সুজ ইত্যাদি দোকানে পাওয়া যায় দেশি উৎসব-আমেজের ফিতা লাগানো স্যান্ডেল। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর থেকে আসা এ ধরনের স্যান্ডেল পাওয়া যায় নামীদামি শপিং মলের জুতার দোকানগুলোয়। বাটা, অ্যাপেক্স, বে এম্পোরিয়ামসহ দেশি দোকানগুলোতেও পাবেন দুই ফিতার রকমারি স্যান্ডেল। দামের বিষয়টি নির্ভর করবে স্যান্ডেলের উপাদান ও উপকরণের ওপর। রাবার বা স্পঞ্জের স্যান্ডেলগুলো ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। কাঠ ও কাপড়ের সমন্বয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের স্যান্ডেল পাবেন ২০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। কৃত্রিম চামড়ার স্যান্ডেলের দাম নকশার ওপর নির্ভর করে ৩৫০ থেকে ১২০০ পর্যন্ত হতে পারে। আর খাঁটি চামড়ার দুই ফিতার স্যান্ডেল ও গ্ল্যাডিয়েটার কিনতে গুনতে হবে ১২০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। | 221,687 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৪৯ | ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:১০ | রাজধানী | 0 | ঢাকার সরকারি স্কুলে ভর্তি ফরম বিতরণ ১ ডিসেম্বর শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1372566 | রাজধানী ঢাকার ৩৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ফরম অনলাইনে বিতরণ শুরু হবে ১ ডিসেম্বর। চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেলা পর্যায়ে ডিসি ও উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ফরম বিতরণ ও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঠিক করবে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভর্তির কাজ শেষ করতে হবে।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (সরকারি মাধ্যমিক) সাখায়েত বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মাউশিতে সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি নিয়ে সভা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি-সংক্রান্ত তারিখ ঠিক করা হয়।রাজধানীতে ৩৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে তিন দিনে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফল প্রকাশ হবে ৩০ ডিসেম্বর। ওই ৩৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টিতে প্রথম শ্রেণি চালু আছে। এগুলোতে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি হবে ২৬ ডিসেম্বর। আর নবম শ্রেণিতে ভর্তি হবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।ঢাকার যে ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে, সেগুলো হলো আজিমপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি গভ. ল্যাবরেটরি উচ্চবিদ্যালয়, ধানমন্ডি গভ. বয়েজ উচ্চবিদ্যালয়, তেজগাঁও বালক উচ্চবিদ্যালয়, তেজগাঁও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মতিঝিল বালক উচ্চবিদ্যালয়, খিলগাঁও সরকারি হাইস্কুল, নারিন্দা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত উচ্চবিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও গণভবন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণিতে আসন প্রায় দেড় হাজার। প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে শিক্ষার্থীর বয়স জানুয়ারিতে ছয় বছরের বেশি হতে হবে। | 345,756 |
খুলনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৪, ০২:০১ | ২১ আগস্ট ২০১৪, ০২:০২ | খুলনা,খুলনা বিভাগ,মহানগর | 0 | শিশুপার্ককে মেলার মাঠ বানানোর প্রতিবাদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/296704 | খুলনা নগরের জাতিসংঘ শিশুপার্ককে মেলার মাঠ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ১৪টি নাগরিক সংগঠন। খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার সকালে পার্কটির সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলো হলো জন-উদ্যোগ, নাগরিক ফোরাম, বেলা, অপরাজেয় বাংলাদেশ, পরিবর্তন-খুলনা, বাপা, সিসিডি, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী, ছায়াবৃক্ষ, সোনালী দিন, প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন, পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি, আলীজ একাডেমী ও জাতীয় কবি নজরুল গবেষণা পরিষদ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খুলনা নগরে শিশুদের জন্য কোনো বিনোদনকেন্দ্র নেই। যা আছে তাও শিশুদের খেলার উপযোগী নয়। গোলকমণি শিশুপার্ক, শেরেবাংলা এবং নিরালা রোডের মিনি শিশুপার্ক, সোনাডাঙ্গার শিশুপার্ক, খালিশপুর শিশুপার্ক ও খুলনা লেডিস পার্কগুলোর ভূমি আজ শ্রেণি পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে। কেসিসি নির্বাচনের সময় সব মেয়র প্রার্থী আধুনিক শিশুপার্ক নির্মাণের অঙ্গীকার করেন। কিন্তু নির্বাচিত হলে তা ভুলে যান।তাঁরা বলেন, ১৯৯৪ সালে ‘শিশুপার্ক’ নামের এ পার্ক গড়ে ওঠে। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে এর নতুন নামকরণ করা হয় ‘জাতিসংঘ শিশুপার্ক’। বর্তমানে সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে পার্কটি হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য। তা ছাড়া নগরের পার্কগুলোতে বিভিন্ন স্থাপনা করে জমি দখল করা হয়েছে, বহুতলবিশিষ্ট আরবান হেলথ কেয়ার সেন্টার ও সিটি করপোরেশনের পানি উত্তোলনের পাম্পহাউস বসেছে।মানববন্ধনে বক্তারা অঙ্গীকার করেন, কোনোভাবেই কেসিসির এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না। শিশুদের পার্ক শিশুদের ফিরিয়ে দিতে হবে। নগরের শিশুপার্কগুলোর বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে হবে।পার্কের জমিতে মেলা করার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, মেলা প্রাঙ্গণ খুলনাবাসীর প্রয়োজন। তবে সেটি কোনোভাবেই শিশুদের খোলা জায়গা দখল করে নয়, জনবহুল এলাকায় নয়।মানববন্ধন চলাকালে জন-উদ্যোগের আহ্বায়ক কুদরত-এ-খুদার সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সংগঠনটির সদস্যসচিব মহেন্দ্রনাথ সেন, বিএনপির মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন প্রমুখ। | 86,748 |
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জুলাই ২০১৪, ০১:২১ | ০৭ জুলাই ২০১৪, ০১:২২ | রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | ককটেল বিস্ফোরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/260764 | ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় সেমন্তি টাওয়ারের নিচতলায় অবস্থিত ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রবেশপথে গতকাল রোববার পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। টাওয়ারের নিরাপত্তারক্ষী মো. রুবেল বলেন, ককটেল নিক্ষেপকারীদের একজনের হাতে পিস্তল ছিল। অবিস্ফোরিত ককটেলটি পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। টাওয়ারের মালিক আবু তাহের বলেন, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। | 75,635 |