author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪১ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৭ | ভারত,ইংল্যান্ড,ক্রিকেট,বিরাট কোহলি,আইপিএল | null | কোহলির উদ্দেশে পিটারসেনের ‘আই লাভ ইউ’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1576261 | টুইটারে কোহলির পোস্ট করা একটি ছবিতে ভারতীয় অধিনায়কের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন।শিরোনাম দেখে অবাক গেলেন, তাই তো! অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিরাট কোহলির উদ্দেশে ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেনের ‘আই লাভ ইউ’ বলার কারণটা খোলাসা করা যাক।অস্ট্রেলিয়া জয়ের পর এখন নিউজিল্যান্ড মিশনে আছে ভারত। ২৩ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পর টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সেই ছবির মন্তব্যেই ফুটে উঠেছে কোহলির প্রতি তাঁর আইপিএল দলের সাবেক সতীর্থ পিটারসেনের ভালোবাসা। রোদে বসে থাকার একটি ছবি পোস্ট করে কোহলি ক্যাপশন দেন, ‘রোদ পোহানোর সময়’। ছবিতে কোহলির মুখটি রোদে থাকলেও, শরীর ছিল ছায়াতেই। সেই নিয়েই মজা করেছেন পিটারসেন। সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান লিখেছেন, পুরো শরীর রোদে না রেখেও কী করে রোদ পোহানো যায়? কোহলির পাল্টা জবাব, মুখটা তো রোদেই আছে। প্রত্যুত্তরে পিটারসেন, তিনি বিরাটের এই কথা মেনে নিচ্ছেন কারণ বিরাটকে ভালোবাসেন তিনি।আসলে দিন এখন কোহলির। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় করেছে ভারত। এরপর ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির টেস্ট ও ওয়ানডের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন কোহলি।কোহলি ও পিটারসেনের মধ্যে কথোপকথন: | 388,204 |
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০১:১৬ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০১:১৬ | বিশাল বাংলা,রাজনীতি | null | প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/933862 | গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন গতকাল মঙ্গলবার ডাকবাংলো মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে কৃষ্ণ কুমার চাকী ও সাধারণ সম্পাদক পদে রবিউল কবির পুনরায় নির্বাচিত হন। প্রেসক্লাবের সভাপতি কৃষ্ণ কুমার চাকীর সভাপতিত্বে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় ১৫ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটি গঠন করা হয়।এ ছাড়া গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাংসদ আবুল কালাম আজাদকে প্রধান উপদেষ্টা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও সুদিনের বার্তা পত্রিকার সম্পাদক শাহরিয়ার খসরুকে উপদেষ্টা করে তিন সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। | 246,140 |
মো. মিন্টু হোসেন | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১২:৪০ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১২:৪৮ | খবরাখবর | null | ‘দেশে ব্যবহৃত ৯০ ভাগ সফটওয়্যারই পাইরেটেড’ | http://www.prothom-alo.com/technology/article/628600 | আইপিআর টাস্কফোর্স, কপিরাইট অফিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গত ১০ সেপ্টেম্বর গুলশানের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পাইরেটেড সফটওয়্যার ইনস্টল করার অভিযোগ ছিল। অভিযান চালিয়ে ৬৯টি পাইরেটেড সফটওয়্যারযুক্ত ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এই সফটওয়্যারগুলোর বেশির ভাগই মাইক্রোসফটের।অভিযান বিষয়ে আইপিআর টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের এ ধরনের পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করতে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কানে তোলেননি। এ জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার কপি রাইটের লঙ্ঘন। পাশাপাশি এর ব্যবহার বড় ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটনের ঝুঁকি তৈরি করে।জানতে চাইলে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সোনিয়া বশির কবির আজ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ পিসিতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার হয়। কিন্তু এর ৯০ শতাংশই পাইরেটেড। তিনি বলেন, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ঝুঁকি অনেক। ডেটা হারানোর ঝুঁকি, ম্যালওয়্যার আক্রমণ, হ্যাকসহ নানা ঝামেলায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি অনেক করপোরেট প্রতিষ্ঠানেও পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আর বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়কেই সচেতন হতে হবে।সোনিয়া বলেন, ‘অনেক সময় কম দামের কথা বলে ক্রেতাকে পাইরেটেড সফটওয়্যার কিনতে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত করেন। বর্তমানে মাইক্রোসফটের আসল সফটওয়্যারের দাম অনেক কমে গেছে। আসল সফটওয়্যারে তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। অ্যান্টিভাইরাসের খরচ বেঁচে যায়। সব মিলিয়ে একটু বাড়তি খরচ হলেও আসল সফটওয়্যার কেনা উচিত। যাঁরা আসল উইন্ডোজ ৮ কিনেছেন তাঁরা তো বিনা মূল্যেই উইন্ডোজ ১০ পাবেন। এ ছাড়াও আসল সফটওয়্যারের বাড়তি সুবিধাও পাবেন। | 167,784 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৬:২০ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৬:২৮ | আরব বিশ্ব | null | নিজেদের ফাঁদে আইএস | http://www.prothom-alo.com/international/article/318499 | যুক্তরাষ্ট্রের দুই সাংবাদিককে শিরশ্ছেদ ও ভিডিও প্রকাশ করে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে।কলাম লেখক ও আমেরিকান টাস্ক ফোর্স অন প্যালেস্টাইনের জ্যেষ্ঠ ফেলো হুসেন ইবিস (Hussein Ibish) এক নিবন্ধে এ মত ব্যক্ত করেছেন। সম্প্রতি নিবন্ধটি নাউ লেবানন-এ প্রকাশিত হয়েছে।গত বুধবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ‘নির্মম’ যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করতে ইরাকের মতো সিরিয়ায়ও বিমান হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।নিজেদের ভাগ্যে নিজেরাই সিল মেরেছে আইএসহুসেন ইবিস তাঁর নিবন্ধে উল্লেখ করেন, যুদ্ধের প্রতি বীতশ্রদ্ধ মার্কিন জনগণের মতামতে সম্প্রতি নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। এর জন্য খোদ আইএস নিজেরাই দায়ী। তারা মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলি (James Foley) ও স্টিভেন সটলফের (Steven Sotloff) শিরশ্ছেদ করেই ক্ষান্ত থাকেনি, বোকার মতো ওই বর্বরতার ভিডিওচিত্রও ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে। আর এতেই যুদ্ধের ব্যাপারে ত্যক্ত মার্কিন জনগণের মন ঘুরে গেছে।দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজ পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৭১ শতাংশ মার্কিন জনগণ ইরাকে আইএসের অবস্থানে বিমান হামলার পক্ষে মত দিয়েছেন। তিন সপ্তাহ আগে এই সংখ্যা ছিল ৫৪ শতাংশ। গত জুনে ছিল ৪৫ শতাংশ।৬৫ শতাংশ মার্কিন আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা ছাড়াও আরও কঠোর ব্যবস্থার পক্ষে মত দিয়েছেন।আইএস যোদ্ধা ৩০ হাজারের ওপরেআইএসের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে অন্যান্য জনমত জরিপেও এই নাটকীয় পরিবর্তনের চিত্র উঠে এসেছে।ইরাকে নাস্তানাবুদ হয়ে সেখান থেকে সেনা গুটিয়ে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলছে। সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে দূরে থেকেছে ওয়াশিংটন—এসব বিবেচনায় নিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীটি চেয়েছে, নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আইএসবিরোধী যুদ্ধে জড়ানো থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে। কিন্তু গোষ্ঠীটির এই পরিকল্পনা নিজেদের জন্য বুমেরাং হয়েছে। তারা মার্কিন জনগণের মনস্তত্ত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। ভুল পরিকল্পনায় চালিত হয়ে তারা নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই রচনা করেছে। জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে অধিকাংশ মার্কিন জনগণ মত দিয়েছেন।জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ওবামা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো গোষ্ঠীই ‘নিরাপদ আশ্রয়’ খুঁজে পাবে না।মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা যেকোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করব।...এর মানে হলো, আইএস দমনে ইরাকের মতো সিরিয়ায়ও হামলা চালাতে পিছপা হবে না যুক্তরাষ্ট্র।’আইএসের জঙ্গিদের নির্মূল করতে ‘বিস্তৃত পরিসরের জোটের’ নেতৃত্বে থেকে যুক্তরাষ্ট্র মূল ভূমিকা পালন করবে বলে জানান ওবামা। | 92,772 |
রাবেয়া সুলতানা | education | শিক্ষা | ০৭ এপ্রিল ২০১৫, ০০:১৫ | ০৭ এপ্রিল ২০১৫, ০০:১৫ | পড়াশোনা | 0 | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | http://www.prothom-alo.com/education/article/496561 | অধ্যায়-৪ ও ৫প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের অধ্যায়-৪ ও ৫ থেকে প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।প্রশ্ন: বাংলাদেশে পোশাকশিল্পের গুরুত্ব বর্ণনা করো।উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোট জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদান প্রায় ৩০ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পোশাকশিল্প।পোশাকশিল্পের গুরুত্ব:১. বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় পোশাক তৈরি হয়২. এ পোশাকের বেশির ভাগ বিদেশে রপ্তানি হয়। পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।৩. বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে কয়েক লাখ নারী ও পুরুষ কাজ করেন।প্রশ্ন: বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব লেখো।উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে নানা ধরনের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চামড়াশিল্প, সাবানশিল্প, তামাকশিল্প, তাঁতশিল্প, রেশমশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঁসাশিল্প ও কাঠশিল্প উল্লেখযোগ্য।ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব:১. সারা দেশে শত শত বছর ধরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে আসছে।২. সব শিল্পের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।৩. এ দেশে উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়।৪. সাবান কারখানা দেশের সাবানের চাহিদা পূরণ করে।৫. তামাকজাত পণ্য দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হয়।৬. এ দেশের বস্ত্রচাহিদার বড় অংশ এ দেশের তাঁতে বোনা কাপড়ে পূরণ হয়।৭. মাটি ও কাঁসার তৈরি জিনিসপত্র বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান প্রধান আমদানি ও রপ্তানি দ্রব্যের নাম লেখো।উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আমদানি ও রপ্তানির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিবছর বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ধরনের পণ্য আমদানি করে। আবার বিভিন্ন দেশে অনেক ধরনের পণ্য রপ্তানি করে।আমদানি দ্রব্য : বাংলাদেশকে প্রতিবছর অনেক পণ্য আমদানি করতে হয়। প্রধান আমদানি পণ্যগুলো হচ্ছে বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য, পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য।রপ্তানি দ্রব্য : বাংলাদেশ প্রতিবছর বেশ কিছু দ্রব্য রপ্তানি করে। এগুলোর মধ্যে হিমায়িত খাদ্য, তৈরি পোশাক, কাঁচা পাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, চা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।বাংলাদেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হয়। ফলে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীন অবস্থা বিরাজ করছে।অধ্যায়-৫প্রশ্ন: মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কী?উত্তর: মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো হলো খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। অতিরিক্ত জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদা পূরণ করা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর এর প্রভাব পড়ে দেশের সমগ্র জনগণের ওপর।প্রশ্ন: জনসম্পদ কাকে বলে?উত্তর: একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের তিনটি উপাদানের মধ্যে দুটি হচ্ছে জনসম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ। তৃতীয়টি হচ্ছে মূলধন। তবে প্রাকৃতিক সম্পদ ও মূলধনকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন জনসম্পদ।জনসম্পদ হচ্ছে কোনো দেশের শ্রমশক্তি। বাংলাদেশে মূলধন কম হলেও প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসম্পদে সমৃদ্ধ। তবে এ দেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালশিক্ষকবিয়াম ল্যবরেটরি স্কুল, ঢাকা | 129,459 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ২৩:৩৬ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:১৬ | মধ্যপ্রাচ্য,ডোনাল্ড ট্রাম্প,ভ্লাদিমির পুতিন,সিরিয়া,সিরিয়া সংকট | null | পাততাড়ি গোটালেন ট্রাম্প, পুতিনের হাতেই ভাগ্য! | http://www.prothom-alo.com/international/article/1574200 | সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে ২০১১ সাল থেকে। আর গত চার বছর ধরে দেশটিতে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) নির্মূল করতে সরাসরি কাজ করছে আমেরিকা। কিন্তু হঠাৎ করেই যুদ্ধ ময়দান থেকে নিজের সেনাদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষ্য, যথেষ্ট হয়েছে। আইএসকে পরাজিত করা গেছে। এবার সেনাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মতো সিরিয়ায় অবস্থানরত প্রায় ২ হাজার মার্কিন সেনাকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমেরিকায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে। অনেক আলোচনা-সমালোচনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ, পেন্টাগনে ওলট-পালট, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বার্তা ইত্যাদির পর ১১ জানুয়ারি থেকে এই সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএস টুডে। এ দিন সিরিয়ায় যুদ্ধরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল শন রায়ান জানান, ‘সিরিয়া থেকে স্বেচ্ছায় সরে আসার কাজ শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী।’ গত ১৯ ডিসেম্বর সেনা প্রত্যাহারের এই আচমকা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের সব মিত্রকে বিস্মিত করেছিল। বিশেষত সিরিয়ার কুর্দিরা শঙ্কার মুখে পড়েছে। আমেরিকার এই সরে দাঁড়ানো আইএসকে পুনর্গঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেবে। একই সঙ্গে এই প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার জ্বালানি তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলের পূর্ণ কর্তৃত্ব তুলে দেবে ইরান, রাশিয়া ও বাশার সরকারের হাতে।সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে দাঁড়ানোর অর্থই হচ্ছে সেখানে রাশিয়ার ভিত শক্ত হওয়ার সুযোগ। ২০১৫ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের সমর্থনে সিরিয়ায় সরাসরি জড়িয়ে পড়ে রুশরা। মস্কোর সহায়তায় আট বছর দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছান বাশার। এমনকি বাশারকে অপছন্দ করেন উপসাগরীয় অঞ্চলের এমন স্বৈরশাসকেরাও সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করে এ জয়ের স্বীকৃতি দিয়েছে।দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় বর্তমানে অনেকগুলো পক্ষ ক্রিয়াশীল থাকলেও সেখানে একচ্ছত্র যদি কেউ এই মুহূর্তে থেকে থাকে, তবে তা রাশিয়া। সিরিয়ায় ইরান, তুরস্ক ও ইসরায়েল সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। সেনা প্রত্যাহার মাত্র শুরু হওয়ায় আমেরিকাকেও সক্রিয় অবস্থাতেই গণ্য করতে হয়। কিন্তু এসব কিছু সত্ত্বেও সিরিয়ায় রাশিয়া চাইলে এই সব পক্ষকে হটিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার ক্ষমতা রাখে। তবে এই অবস্থানকে দীর্ঘস্থায়ী করে পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হলে রাশিয়াকে এই ভয়াবহ যুদ্ধের পর দীর্ঘস্থায়ী শান্তির দিশা দিতে হবে।এখন পর্যন্ত এই দায়িত্ববোধের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে মস্কো। বরং উল্টোটাই করছে তারা। বিভক্ত সিরিয়াকে এক করার উদ্যোগ নেওয়ার বদলে রাশিয়া আসাদকে আরও বিচ্ছিন্নতা তৈরিতে সহায়তা করছে। বিরোধী পক্ষকে বোমার আঘাতে উড়িয়ে দিতে কিংবা বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার—সবকিছুতেই এই সহায়তা অক্ষুণ্ন রয়েছে।ইকোনমিস্ট বলছে, সিরিয়ায় আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের দমনে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার সব ধরনের কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সুন্নি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোকে লক্ষ্য করা হচ্ছে। সুন্নিদের মধ্যেই বাশার-বিরোধী অংশ বেশি। এ কারণে সুন্নি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোয় নির্বিচার সরকারি হামলা চালানো হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া সুন্নিদের ফেলে যাওয়া ঘর-বাড়ি ও সম্পদ দখলে শিয়া, খ্রিষ্টান ও আলাওয়িত সম্প্রদায়ের লোকেদের সরাসরি সহায়তা করছে আসাদ সরকার। ফলে এক ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে পড়েছে সিরিয়ায়। একই সঙ্গে যুদ্ধ সমাপ্তের কথা বললেও বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া ৬০ লাখ উদ্বাস্তু সিরীয়দের ফিরে আসার ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। লেবানন থেকে সিরিয়ায় ফিরে আসতে চাওয়া প্রায় হাজারখানেক সিরীয়কে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এসব সত্ত্বেও রাশিয়া বলছে, সিরিয়ার স্থিতিশীলতার স্বার্থেই বাশারের ‘বজ্র আঁটুনি’ প্রয়োজন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিরিয়ায় রাশিয়া যে নীতি অনুসরণ করছে, তা এক মস্ত ভুল। কারণ এই পীড়নের নীতি বাশার সরকারকে টিকিয়ে দিলেও সিরিয়ার পুনর্গঠনকে কঠিন করে তুলেছে। এই নীতির কারণে ক্ষুব্ধ সুন্নিরা আশ্রয় নিচ্ছে প্রতিক্রিয়াশীলদের ডেরায়। অসাম্য, দুর্নীতি ও বিভাজনের নীতিই ছিল আদতে বিদ্রোহের মূলে, যা একই সঙ্গে জঙ্গিদের পরিপুষ্ট করেছে। ফলে এমন একটি নীতি অনুসরণকারী সরকারের অধীনে দীর্ঘদিন থাকলে সিরিয়া কখনোই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ হবে না। কিন্তু রুশনীতি সে রকম কোনো সম্ভাবনার কথা বলছে না। অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে গড়ে তোলাই নিরাপদ সিরিয়ার পূর্বশর্ত উল্লেখ করে ইকোনমিস্ট বলছে, এখন পর্যন্ত যে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে লাভবান হবেন প্রেসিডেন্ট আসাদ ও তাঁর দলের লোকেরাই। অথচ সম্পদ ও ক্ষমতার বণ্টন আরও বিস্তৃত হওয়া উচিত। এই দুইয়ের বিকেন্দ্রীকরণই একমাত্র নিপীড়িত ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে পারে। শুধু সুন্নি নয়, সব সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনের জন্যই এটি প্রয়োজন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আসাদ এসব কিছুর ধার ধারছেন না। অনেকটা প্রতিশোধপরায়ণের মতো তিনি যেন তাঁর হৃত এলাকা পুনরুদ্ধারে নেমেছেন। এ অবস্থায় রাশিয়ার উচিত হবে প্রেসিডেন্ট আসাদের রাশ টেনে ধরা। এটা সম্ভবও। কারণ আসাদ বাহিনীর শক্তির মূলে রয়েছে রাশিয়ার শক্তিশালী বিমানবাহিনী। একই সঙ্গে নতুন কোনো সংঘাত যেন শুরু না হয়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই জরুরি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার কারণে কুর্দিদের নিরাপত্তা পুরোপুরি আসাদ সরকারের ওপর নির্ভর করছে। উত্তরাঞ্চলের একটি অংশ বর্তমানে তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যারা কুর্দিদের ‘সন্ত্রাসী’ মনে করে। এ ক্ষেত্রে রাশিয়াকে অবশ্যই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে হবে। দক্ষিণে ইরানকে নিরস্ত করতেও তার ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এই অংশে ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে। কুর্দিদের বিষয়ে তুরস্ক যে নরম হবে না তা মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রথম খবরের সময়ই বোঝা গেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, কর্নেল শন রায়ান মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা জানালে তুরস্ক জানিয়েছে যে, এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আলাপ হয়নি। আর ৬ জানুয়ারি কুর্দি নিরাপত্তার বিষয়টিকে সেনা প্রত্যাহারের অন্যতম শর্ত বলার পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের উদ্দেশে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, ‘তাঁর বার্তা গেলাটা সম্ভব নয়।’ ফলে এই আশু সংঘাত নিয়ে রাশিয়ার গুরুত্ব সহকারে ভাবার কোনো বিকল্প নেই। অনেকগুলো বড় শক্তি যে ময়দানে লড়াই করছে, তার নাম সিরিয়া। তাই যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের যুদ্ধ বেধে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই মুহূর্তে সিরিয়ার ভাগ্যবিধাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন। তাঁর এই আসন অটল থাকবে যদি শান্তি আসে এবং তা স্থায়ী হয়। আসাদ সরকার যত রূঢ় হবে এই শান্তি তত সুদূর হবে। অর্জিত হলেও মিলিয়ে যাবে। তাই আসাদ সরকারের রাশ টেনে ধরাটাই সিরিয়ায় রুশ বিজয় স্থায়ী করার একমাত্র পন্থা। | 386,596 |
আনিসুল হক | opinion | মতামত | ০৩ এপ্রিল ২০১৫, ০০:০৭ | ০৩ এপ্রিল ২০১৫, ০০:০৭ | গদ্যকার্টুন,আনিসুল হক,মতামত,লেখকের কলাম | null | ছাদ ভেঙে পড়বে না তো কি সোনাদানা পড়বে? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/493054 | আমাদের সহপাঠী তাহের আলী ক্লাস সেভেন-এইটে পড়ার সময় রংপর জিলা স্কুলের বিশাল মাঠের সবুজ ঘাসে বসে এক সুমহান উক্তি উচ্চারণ করেছিল—৩৭ বছর পরেও যার সত্যতা সম্পর্কে আমার কোনো সন্দেহ নেই, ‘সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি রে, কখন কী ভুল হয়া যায়!’ স্কুল প্রাঙ্গণের বটগাছের নিচে বসে আমরা, কিশোর শিক্ষার্থীরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখনই এই অকাল তত্ত্বজ্ঞানী এই উক্তি করে। আমরা তাকে শুধাই, কেন তাহের আলী, কী ভুল তুমি করেছ?তাহের আলী জানায়, রংপুর থেকে সে ঢাকা গিয়েছিল। বড়লোক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছিল। তাদের বাথরুমে একটা বালতিতে পানি ছিল। সেই পানি সে ঢেলেছিল কমোডে। তখন সে টের পেল, বালতিতে লুঙ্গি ভেজানো ছিল। পানির সঙ্গে লুঙ্গি কমোডে ঢুকে গিয়ে অর্ধেকটা আটকে আছে।আহা, এই বিবরণ দিয়ে তাহের আলী বুকফাটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারও বলল, সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি রে, কখন কী ভুল হয়া যায়।আজ এত দিন পরেও, প্রতিনিয়ত, তাহের আলীর এই উক্তির সত্যতা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি। কখন কী ভুল হয়ে যায়। আর ভুল হলেই ক্ষমাহীন শাস্তি। আমাদের এখন হাতুড়ির নিচে জীবন; এই চাপাতি, কি এই গুম–খুন, এই পেট্রলবোমা কি এই জন্মদিনের কেক নিয়ে ধেয়ে আসা ঘাতকের হাতিয়ার। চিত্ত যেথা ভয়যুক্ত নত যেথা শির...না না। হাহাকার করার জন্য এই কলাম লিখছি না। তাহের আলীর আরেকটা কর্ম রংপুর জিলা স্কুলের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকা উচিত ছিল, তবে আমার অকিঞ্চিৎকর গল্প ছাড়া তা কোথাও লেখা নেই।রংপুর জিলা স্কুল ১৮৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত। আমরা যখন ক্লাস করতাম, তখন সামনের চুন-সুরকির খিলানওয়ালা ঐতিহ্যবাহী ভবনটা পুরোনো হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে।একদিন ক্লাস চলাকালেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে।একজন ছাত্র বলল, স্যার, পানি পড়ে!অঙ্কের স্যার মুস্তাফিজুর রহমান বললেন, ছাদ থাকি পানি পড়বে না তো কি শরবত পড়বে?লাখ কথার এক কথা! এর পরে কি আর কথা চলে?একদিন বিকেলে আকাশ কালো হয়ে এসেছে। রাতে নির্ঘাত বৃষ্টি হবে। তাহের আলী করল কী, সবগুলো বেঞ্চ উল্টে রাখল। পরের দিন ক্লাসরুমে থকথক করছে পানি। আর সব বেঞ্চ ওল্টানো। ক্লাস হবে কী করে?বিজ্ঞানের মোনেম স্যার ক্লাসটিচার। বেত উঁচিয়ে বললেন, কে বেঞ্চ উল্টে রেখেছিস, বল।তাহের আলী দাঁড়াল। আমি স্যার।আমরা সবাই নিঃশ্বাস বন্ধ করে অপেক্ষা করছি পরবর্তী ঘটনার জন্য।স্যার বললেন, ক্যান উল্টাইছিস বেঞ্চ?তাহের আলী বলল, বিকেলে যখন দেখলাম আকাশে মেঘ, বুঝলাম বৃষ্টি হবে, বেঞ্চগুলোর ওপরটা ভিজে গেলে আমরা ক্লাস করব কীভাবে। তাই উল্টে রাখলাম, যাতে বেঞ্চগুলোর ওপরের দিক রক্ষা করা যায়।শুনে স্যার বেত নামিয়ে হাসতে লাগলেন, উকিল তো ভালোয় ধরছিস, যা, তোকে ক্ষমা করি দিলাম।আমাদের স্কুলের ওই ভবন পরে সংস্কার করা হয়। আরও নতুন ভবনও হয়েছে রংপুর জিলা স্কুলে।কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের মিলনায়তনের বারান্দার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে এক শিক্ষার্থী ও এক শিশু আহত হয়েছে শুনে মনটা দমে গেল।আমি কী রকমভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ!আমাদের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোর বেশির ভাগেরই অবস্থা বেশ করুণ। আসলে আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের চেহারাও বেশ করুণ। দেখলেই বোঝা যায়, এ আমাদের দুয়োরানি! ময়লা হতশ্রী চেহারা। দরজা-জানালা ভাঙা। শেওলা ধরা দেয়াল। ধুলোয় ঢাকা মেঝে। ছাদ থেকে অশ্বত্থগাছ পাতা মেলে আকাশের দিকে চেয়ে আছে।প্রথম কথা, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম! প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভবন নেই, ক্লাসরুম নেই, ল্যাবরেটরি নেই, লাইব্রেরি নেই, মিলনায়তন নেই, ছাত্রাবাস নেই। যা আছে, প্রথমেই ঠিকাদার-প্রকৌশলী-চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজ চক্রের কারণে নির্মাণের সময়েই নিদারুণ অপুষ্টির শিকার। মওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম বছর খানেক আগে। উপাচার্যের রুমে বসে মনে হলো, কখন যে ছাদ ভেঙে পড়বে। অথচ নতুন ভবন। মনে হয়, ঠিকাদার সিমেন্ট কেনার সময় পাননি, শুধু বালু দিয়েই কাজ চালিয়ে দিয়েছেন। লোহার রড দিয়েছেন কি না জানি না। দেবার দরকার কী! রড তো বাইরে থেকে দেখা যায় না।যাক, ভবন তো নির্মিত হলো। কিন্তু সেসব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছর বছর যে টাকা লাগবে, আসবে কোত্থেকে। ইলেকট্রিসিটির লাইন ঝুলে আছে, বাতি কোনোকালে ছিল, এখন শুধু আছে স্মৃতিচিহ্ন, বাথরুমে কোনো দিনও পানি ছিল না। কোনো দিনও পানির পাম্প লাগানো হয়নি। আহা, দারিদ্র্যের কী ভয়াবহ ছাপই না একেকটা ম্লানমুখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।শিক্ষার্থীদের তুলনায় ছাত্রাবাস অপ্রতুল। ছেলেমেয়েরা ডাবলিং করে, ট্রিপলিং করে, মেঝেতে শোয়, ডাইনিংরুমে শোয়, টিভিরুমে শোয়। যত মারামারি-হানাহানি তার বেশির ভাগেরই কারণ হলে হোস্টেলে সিট-সংকট।আর আমাদের প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। একেকটা হলের দিকে তাকান। চোখে পানি চলে আসতে বাধ্য। কত দিন যে চুনকাম করা হয় না। আর শুধু চুনকাম করলেই কি এই পলেস্তারা খসে পড়া থামবে? জগন্নাথ হলের একটা মিলনায়তনের ছাদ ধসে পড়েছিল, কতজন হতাহত হয়েছিল, চুনকামের সাধ্য কি সেই পতন রোধ করতে পারে?অথচ দেশ এগোচ্ছে। আমরা সচ্ছল হচ্ছি। আমাদের বাজেট বড় হয়েছে। আমরা কোটি টাকা বরাদ্দ করতে পারি আতশবাজির জন্য। কোনো একজন ভাঙারি বিক্রেতার কীর্তিমান সন্তান সরকারি ব্যাংক থেকে দুই হাজার-তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে নিলেও আমাদের তেমন কষ্ট হয় না, এ যেন সমুদ্র থেকে এক ঘটি জল সরানো মাত্র। তা-ই যদি হবে, তাহলে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এই দরিদ্র হাল কেন?ঢাকা শহরের আকাশরেখা বদলে গেল চোখের সামনেই। কত সুন্দর সুন্দর ভবন উঠছে। এখন বেসরকারি সংস্থা নিরাপত্তা দেয়, বাথরুম পরিষ্কার করে, মেঝে মুছে দেয় পাঁচ মিনিট পর পর। অথচ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভগ্নদশা কাটে না। রাজ্যের ধুলা, রাজ্যের কালিঝুলি, রাজ্যের অন্ধকার আমাদের ক্যাম্পাসগুলো জুড়ে!বাইরের চেহারার যখন এই ফকিরি দশা, প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শঙ্কা, ভেতরের অবস্থা না জানি কী! কী গবেষণা হয়, কী লেখাপড়া হয়। রাজনীতি সব দূষিত করেছে, শিক্ষাঙ্গন কি আর মুক্ত থাকবে? আবার জাতীয় নেতা তৈরির প্রক্রিয়াও নেই, ছাত্রসংসদের নির্বাচন হয় না।তবু হয়তো প্রাণটা মরে যায়নি আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর। ভরসা তরুণ শিক্ষার্থীরাই। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও অপরিসীম সম্ভাবনা নিয়ে তারা তৈরি হচ্ছে, বিপুল পৃথিবীতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সমস্ত সৃজনীটুকু নিয়ে।বিলাসী গল্পে শরৎচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বর্ষার দিনে মাথার উপর মেঘের জল ও পায়ের নীচে এক হাঁটু কাদা এবং গ্রীষ্মের দিনে জলের বদলে কড়া সূর্য এবং কাদার বদলে ধুলার সাগর সাঁতার দিয়া স্কুল-ঘর করিতে হয়, সে দুর্ভাগা বালকদের মা-সরস্বতী খুশি হইয়া বর দিবেন কি, তাহাদের যন্ত্রণা দেখিয়া কোথায় যে তিনি মুখ লুকাইবেন, ভাবিয়া পান না।’আজও আমাদের শিক্ষাঙ্গনগুলোর এই বেহাল অবস্থাই করে রেখেছি, কিন্তু এবার একেবারে নতুন করে ভাবার সময় আসেনি কি?শিক্ষার্থীদের মাথার ওপরে যখন জর্জরে ছাদ ভেঙে পড়ে, তখন আমাদের নীতিনির্ধারকদের মাথার ওপরে আকাশ ভেঙে পড়া কি উচিত নয়?আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। | 128,389 |
আলোকিত প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মে ২০১৪, ০০:০১ | ০৮ মে ২০১৪, ০০:০১ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | ‘এ শুধু গানের দিন’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/210523 | উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী প্রয়াত মান্না দের জন্মদিন ছিল ১ মে। এদিন গানে গানে শিল্পীকে স্মরণ করল একাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস চট্টগ্রাম। সে সঙ্গে সংগঠনটি উদ্যাপন করল ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। নগরের জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।‘এ শুধু গানের দিন’ শিরোনামের এ আয়োজনে একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ। মুনির হেলালের সঞ্চালনায় আয়োজনের সূচনা হয় একাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস চট্টগ্রামের সভাপতি রোশাঙ্গীর বাচ্চুর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে। এরপর শুরু হয় গান।শুরুতেই শাহরিয়ার খালেদ পরিবেশন করেন ‘আমি যামিনী তুমি শশী হে’। শিল্পী একে একে পরিবেশন করেন ‘হূদয়ের গান শিখে তো গাইব সবাই’, ‘ক ফোটা চোখের জল’, ‘ও চাঁদ সামলে রেখ জোছনাকে’, ‘আমি যে জলসাঘরে’, ‘ও কেন এত সুন্দরী হলো’, ‘এরই নাম প্রেম’, ‘এ জীবনে যত ব্যথা পেয়েছি’, ‘কি দেখলে তুমি আমাকে’, ‘এ নদী এমন নদী’, ‘এই তো সেদিন তুমি’, ‘পৌষের কাছাকাছি’সহ ২৬টি গান। সবশেষে ‘আবার হবে তো দেখা’ গান পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় সংগীতানুষ্ঠানের। | 71,746 |
ডা. ফাহমিদা তুলি | life-style | জীবনযাপন | ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ০২:৫০ | ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ০২:৫২ | আমার ডাক্তার | null | গর্ভধারণে বিলম্ব? | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1360106 | অধিকাংশ দম্পতি বিয়ের পর একটা নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে সন্তানের আশা করে থাকেন। কিন্তু নানা কারণে গর্ভধারণ বাধাগ্রস্ত বা দেরি হতে পারে। অনেক সময় একটি সন্তান জন্মের পর আরেকটি সন্তানের জন্য চেষ্টা করে বিফল হন অনেক দম্পতি। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।নারীর ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু তৈরি বা পরিপক্ব হতে সমস্যা, ডিম্বাশয় থেকে জরায়ুতে পৌঁছতে সমস্যা, নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে যুক্ত না হওয়া কিংবা জরায়ুতে সঠিক পরিবেশে বাড়তে না পারার ফলে গর্ভধারণজনিত সমস্যা হতে পারে। প্রজনন অঙ্গের জন্মগত ত্রুটি, প্রজনন অঙ্গের অন্য কিছু সমস্যা (যেমন টিউমার, সিস্ট বা পলিপ), জীবাণুর সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েড কিংবা অন্য কোনো হরমোনের তারতম্য, বেশি বয়স, রক্তরোগ এবং কিছু ওষুধের কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।পুরুষের ক্ষেত্রেও এ রকম কিছু কারণ রয়েছে। যেমন শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া, প্রজনন অঙ্গের কোনো প্রতিবন্ধকতা যা শুক্রাণুকে বাধাগ্রস্ত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ শুক্রাণু। এ ছাড়া জন্মগত ত্রুটি, যৌনরোগ, প্রজনন অঙ্গে জীবাণুর সংক্রমণ, অতিরিক্ত ওজন, বেশি বয়স, ধূমপান, মদ্যপান, ক্যানসার, কিছু ওষুধ, তেজস্ক্রিয়তা, অতিরিক্ত গরমে কাজ করা ইত্যাদি কারণে সমস্যা হতে পারে।একজন নারীর বয়স ৩৫ পেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমতে থাকে এবং গর্ভপাতের আশঙ্কা বাড়ে। তবে বড় ধরনের ত্রুটি না থাকলে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়। তবে এসব চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি, সময় লাগতে পারে ৩৬ মাস থেকে ৪৮ মাস পর্যন্ত। গর্ভধারণে সমস্যা হলে স্ত্রী ও স্বামী উভয়েরই সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করিয়ে নেওয়া উচিত।কোনো কোনো নারীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাশয়ের বায়োপসি পরীক্ষাও লাগতে পারে। কোনো দম্পতির ক্ষেত্রে টেস্টটিউব বেবির মতো জটিল পদ্ধতিরও প্রয়োজন হতে পারে।স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল | 343,836 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জুলাই ২০১৫, ১৭:৫৯ | ১৮ জুলাই ২০১৫, ২২:২০ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | রাজপথে সোয়ান গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/580486 | বেতন ও বোনাসের দাবিতে আজ শনিবার ঈদের দিনেও রাজপথে অব্যাহতভাবে চলছে সোয়ান গার্মেন্টসের শ্রমিকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচিতে তাঁদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যোগ দেন। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, সিপিবি নেতা মনজুরুল আহসান খান, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, হায়দার আকবর খান রনো, বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, যুব ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ক্বাফী রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার রয়েছেন।সকালে মুক্তিভবনে রান্না করা সেমাই খেয়ে শ্রমিকেরা ঈদের দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় ঈদগাহ ফেরত মুসল্লিরাও জড়ো হন। শ্রমিকদের গগণবিদারী স্লোগান এবং মর্মস্পর্শী বক্তব্যে উপস্থিত জনতার চোখে পানি আসে। শ্রমিকদের সঙ্গে ঈদ করতে এসে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি, আমাদের শ্রমিক ভাইবোনেরা তাদের উৎপাদনের মধ্য দিয়ে এই স্বাধীনতা শ্রমে-ঘামে রক্ষা করছেন। স্বাধীনতা পদক কতজনকেই তো দেওয়া হয়, স্বাধীনতা পদকের আসল দাবিদার এই শ্রমিকেরা। আজকে যখন সকলে ঈদের খুশিতে মত্ত তখন তারা রাস্তায় ঈদের দিন কাটাচ্ছেন। তাদের এই দুরবস্থা দেখে স্বাধীনতা পদক যাঁরা পেয়েছেন তাদের সে পদক ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। শ্রমিক নেতাদের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, শ্রমিকনেতা ইকবাল হোসেন, কে এম মিন্টু, মঞ্জুর মঈন, আব্দুস সালাম বাবুল, জয়নাল আবেদীন, নূরুল ইসলাম প্রমুখ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।অারও পড়ুন: সোয়ানের পোশাকশ্রমিকেরা কোনো সুখবর পাননি | 153,619 |
মুসা আহমেদ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০৯:৫৯ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:০৩ | আওয়ামী লীগ,বিএনপি,রাজনীতি | 0 | আ.লীগ ও বিএনপির অনেক প্রার্থী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1410671 | ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) নতুন যুক্ত হওয়া ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন চান ১৪ জন। এতে বিএনপি থেকে সমর্থনের দৌড়ে আছেন ৫ জন। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে এখনো কাউকেই সমর্থন দেওয়া হয়নি।ইতিমধ্যে এখানে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির সমর্থন পেয়ে গেছেন দলটির কদমতলী থানা ইউনিটের যুগ্ম সম্পাদক মো. হোসেন। তিনি ইতিমধ্যে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও অঘোষিত প্রচারণা শুরু করেছেন।এই তিন দলের বাইরে আরও কয়েকজন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।গত জুলাইয়ে শ্যামপুর ইউনিয়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হলে এলাকাটি ৫৮, ৫৯ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে চাকদাহ, ঢাকা ম্যাচ, রাজউক দ্বিতীয় পর্ব, ওয়াসা কলোনি, মুন্সিখোলা তেলকল, পূর্ব কদমতলী, মোহাম্মদবাগ, মেরাজনগর এলাকা নিয়ে গঠন করা হয় ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড। ওয়ার্ডে ভোটারসংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার।আওয়ামী লীগআওয়ামী লীগের স্থানীয় সূত্র জানায়, এখানে কাউন্সিলর পদে দলের সমর্থন চাওয়া ১৪ জনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। কয়েকজন চাইছেন সমঝোতার মাধ্যমে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে। কিন্তু অধিকাংশ প্রার্থীই একসঙ্গে বসতে রাজি নন। তাঁরা দলের সমর্থন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কে শেষ পর্যন্ত দলের সবুজসংকেত পাবেন, সংগঠনে কার অবস্থান ভালো, কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ—এসব বিষয় নিয়ে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানে দলের কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে চলছে জল্পনা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম খান, মহিলা সম্পাদিকা রোকসেনা বেগম, শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মো. সহিদ উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মোল্লা, শ্যামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, শ্যামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইসমাইল আখন্দ, শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ও শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল মালেক।গতকাল মঙ্গলবার উল্লেখিত ব্যক্তিদের অনেককেই এলাকায় পাওয়া যায়নি। দলের সমর্থন, নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র কেনা ও জমা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শফিকুল ইসলাম খান তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনবৃত্তান্ত গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে জমা দিয়েছেন।শফিকুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে যে কয়েকজন দলের সমর্থন চাচ্ছেন, আমি তাঁদের সবার চেয়ে যোগ্যতায় এগিয়ে আছি। আমি শ্যামপুর ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের আগের পৃথক কমিটিতে সহসভাপতি ছিলাম। এর আগে শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোহাম্মদবাগ ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আছি। তাই দল আমাকেই সমর্থন দেবে বলে আশা করি।’অন্যদিকে শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মো. সহিদ উল্যাহ,সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মোল্লা ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা রোকসেনা বেগম বলেন, দলের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সমর্থন নিয়েই তাঁরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন দলীয় সমর্থনের অপেক্ষায় আছেন। দল যাঁকে সমর্থন দেবে, সেটা তাঁরা মেনে নেবেন।বিএনপিবিএনপির স্থানীয় সূত্র জানায়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে এখানে বিএনপির প্রার্থী ৩ জন। তাঁরা হলেন শ্যামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খোরশেদ আলম, শ্যামপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুনুর রশিদ, বিএনপির স্থানীয় নেতা আসলাম মোল্লা ও লুৎফর রহমান। তবে গতকাল এই ওয়ার্ডে গিয়ে তাঁদের পাওয়া যায়নি।জাতীয় পার্টিজাতীয় পার্টির স্থানীয় সূত্র জানায়, ডিএসসিসির ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য দল থেকে ৩ জন অনানুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন চেয়েছিলেন। এর মধ্যে সংগঠনে পদ ও সাংগঠনিক দিক থেকে কদমতলী থানা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক মো. হোসেনের অবস্থান ভালো ছিল। তাই জাতীয় পার্টি-সমর্থিত স্থানীয় সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেনের সহযোগিতায় তিনি দল থেকে সমর্থন পেয়েছেন।জানতে চাইলে মো. হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় দলমত-নির্বিশেষে সবাই আমাকে ভালোবাসে। তাদের সমর্থন নিয়েই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আমি নির্বাচিত হলে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেব।’ | 351,789 |
এম. মনিরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মার্চ ২০১৭, ০১:২৭ | ১৩ মার্চ ২০১৭, ০১:২৮ | বাঞ্ছারামপুর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ফুলে ফুলে ভরে গেছে জিরাখেত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1106155 | কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ৯ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে জিরা চাষ করেছেন দৌলতপুর গ্রামের কৃষক মো. আলমগীর হোসেন। খেতের জিরাগাছগুলো এখন ফুলে ফুলে ভরা।আলমগীর হোসেন জানান, তাঁর ছোট ভাই মো. আবুল হোসেন ১৪ বছর ধরে সৌদি আববে থাকেন। সেখানে নড়াইলের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় আবুলের। নড়াইলের ওই ব্যক্তির এক ভাই ইরানপ্রবাসী। ইরানপ্রবাসী ওই ব্যক্তি ইরান থেকে রোপণ করার উদ্দেশ্যে কিছু জিরা দেশে নিয়ে আসেন। তাঁর কাছ থেকে আধা কেজি জিরা এনেছেন আলমগীর। সেই জিরা থেকে প্রায় আড়াই শ গ্রাম মাস তিনেক আগে ৯ শতক জমিতে চাষ করেন আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের জমিতে জিরা হবে, তা কখনো কল্পনা করতে পারিনি। সাধারণ ফসলের মতোই জমিতে জিরা চাষ করেছি। ৯ শতক জমিতে জিরা চাষে ১৫ কেজি সার এবং আগাছা পরিষ্কার বাবদ কিছু খরচ হয়েছে। ফুলে ফুলে ভরে গেছে জিরাগাছগুলো। প্রতিটি গাছে জিরাও এসেছে প্রচুর। তবে কখন চাষ করতে হবে, সেই মৌসুম সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। আমার জমিতে জিরা চাষ হয়েছে শুনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসেছিলেন কয়েক দিন আগে। তিনি আমাকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন।’৮ মার্চ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে গিয়ে দূর থেকে হলুদ আর সবুজের সমারোহ চোখে পড়ে। হালকা বাতাসে জমির ২০০ থেকে ৩০০ মিটার দূর থেকেই জিরার গন্ধ ভেসে আসছিল। ৩০-৩৬ ইঞ্চি লম্বা গাছগুলো ফুলে ফুলে ভরে গেছে। জিরাগাছের পাতা চিকন ও এক থেকে দেড় সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে। প্রায় প্রতিটি গাছেই জিরা ধরেছে প্রচুর।দৌলতপুর গ্রামের সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশে জিরা হবে, এটা আমরা কোনো সময় আশা করিনি। আর আমাদের গ্রামের একটি জমিতে জিরা চাষ দেইখা মনটা ভইরা গেছে।’উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এর আগে দেশের অন্য কোথাও জিরা চাষ হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই। বাংলাদেশে জিরা চাষ একেবারেই নতুন একটি বিষয়। হোমনার দৌলতপুর গ্রামে জিরা চাষ হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি প্রতিটি গাছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জিরা এসেছে। জিরার এই চাষ সফল হলে হোমনা তথা দেশে জিরা চাষের একটি বিপ্লব ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস।’ | 302,308 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:০৩ | ২৭ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৪৫ | বাণিজ্য | null | আয়কর বিবরণী জমার সময় আর চার দিন | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1028633 | ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আছে আর মাত্র চার দিন। অন্য বছর এমন শেষ সময়ে রিটার্ন জমার জন্য করদাতাদের মধ্যে যেমন তোড়জোড় থাকে; তেমনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সময় বাড়ানোর দাবি ওঠে। কিন্তু এবার আর সেই পরিস্থিতি নেই। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব করদাতাকে রিটার্ন জমা দিতে হবে। সময় বাড়বে না—এ ঘোষণা বাজেটেই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। করদাতাদের মধ্যে যাঁরা এখনো রিটার্ন দেননি, তাঁরা এখন ব্যস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে।৩০ নভেম্বরের মধ্যে যাঁরা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না, তাঁদের বাড়তি টাকা গুনতে হবে। নির্ধারিত করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। এমনকি যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে কোনো করদাতা যদি সময় বাড়িয়ে নেন, তবু এ বিলম্ব সুদ দিতেই হবে। যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে উপ কর কমিশনার দুই মাস সময় বাড়িয়ে দিতে পারেন।এত দিন প্রতিবছর ৩০ সেপ্টেম্বর রিটার্ন জমার সময় শেষ হতো। প্রতিবার ব্যবসায়ীদের দাবিতে সময় একাধিক দফা বৃদ্ধি করা হতো। কিন্তু চলতি অর্থবছরে ৩০ নভেম্বর সময় বেঁধে দিয়ে অর্থবিল পাস করা হয়েছে। মানে, সময়সীমা এখন আইনি কাঠামোর মধ্যে চলে এসেছে। এবার ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর সপ্তাহ পালন করছে এনবিআর। এ সময়ে আয়কর মেলায় যেসব সুবিধা পান করদাতারা, তাঁরা মাঠপর্যায়ে কর কার্যালয়ে একই সুবিধা পাবেন। প্রতিটি কার্যালয়ে সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। আর করদাতাদের সুবিধার্থে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রিটার্ন জমা নেওয়া হচ্ছে।কী পরিমাণ রিটার্ন জমা পড়েছে—এর তথ্য হালনাগাদ করেনি এনবিআর। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের মূল বেতন ১৬ হাজার টাকার বেশি হলেই রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক। এর ফলে এ বছর চাকরিজীবীদের মধ্যে রিটার্ন জমার সংখ্যা ৪ লাখ বাড়বে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। গতবার প্রায় ১২ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন।গতবারের মতো এ বছরও আড়াই লাখ টাকার বেশি আয় হলে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে আড়াই লাখ টাকার কম আয় হলেও কয়েক শ্রেণির করদাতাদের অবশ্যই রিটার্ন জমা দিতে হবে। গাড়ির মালিক ও অভিজাত ক্লাবের সদস্য হলেও বাধ্যতামূলক রিটার্ন দিতেই হবে। এ ছাড়া চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, হিসাববিদদের মতো পেশাজীবীদের করযোগ্য আয় না থাকলেও এনবিআরকে আয়-ব্যয় বিবরণী জানাতে হবে। সব মিলিয়ে পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ঠিকাদার, জনপ্রতিনিধি, সরকারি চাকরিজীবীসহ ২০ ধরনের করদাতাদের রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক।চেক লিস্ট: শুধু আয়কর ও সম্পদ বিবরণীর ফরম পূরণ করে দিলেই হবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী বেশ কিছু কাগজপত্র আয়কর বিবরণীর দলিলের সঙ্গে জমা দিতে হবে। সেগুলোর অন্যতম হলো বেতন খাতের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজের ওপর সুদ আয়ের সনদ, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌরকরের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনি সম্পদের বিক্রয় কিংবা ক্রয়মূল্যের চুক্তিপত্র ও রসিদ, মূলধনি ব্যয়ের আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র, শেয়ারের লভ্যাংশ পাওয়ার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, সুদের ওপর উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট।কোনো করদাতা যদি কর রেয়াত নিতে চান, তবে বেশ কিছু কাগজপত্র লাগবে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জীবনবিমার কিস্তির প্রিমিয়ার রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, স্টক বা শেয়ারে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমে চাঁদার সনদ, কল্যাণ তহবিলে চাঁদা ও গোষ্ঠীবিমার কিস্তির সনদ, জাকাত তহবিলে চাঁদার সনদ।শাস্তি: ৩০ নভেম্বরের পর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিলে নির্ধারিত করের ওপর সুদ দিতে হবে—চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে ৭৩এ নামে নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে কোনো করদাতা বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে ব্যর্থ হলে ওই ব্যক্তির করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ দিতে হবে। তবে সুদ নির্ধারণ হবে সারা বছরে ওই করদাতা যে উৎসে কর ও অগ্রিম কর দিয়েছেন, তা বাদ দিয়ে আয়করের ওপর। | 269,133 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ মে ২০১৪, ১২:৩৭ | ০৪ মে ২০১৪, ১৪:১৭ | অপরাধ,চট্টগ্রাম | null | চট্টগ্রামে কিশোরী গণধর্ষণের শিকার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/207922 | চট্টগ্রামে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার ভোরে নগরের এনায়েত বাজার থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. বাহার (৪৫) ও মো. রাসেল (২০)।কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) আবদুর রউফ জানান, গত শুক্রবার বিকেলে এনায়েত বাজার তুলাতলী বস্তি থেকে কিশোরীটি (১৫) নিখোঁজ হয়। পরে গতকাল শনিবার বিকেলে কিশোরীটি বাসায় ফেরে। সে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে তার ভাইকে জানায়।আজ ভোরে পুলিশ এনায়েত বাজার থেকে বাহার ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। | 70,462 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১১ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৪ | উপজেলা নির্বাচন,নির্বাচন কমিশন,বিএনপি,রাজনীতি | null | বিএনপি না থাকায় উপজেলা নির্বাচনে জৌলুশ নেই: মাহবুব তালুকদার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1579762 | নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় জৌলুশ হারাতে বসেছে। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। নির্বাচন সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না, এই সত্যকে মেনে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে।আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘এই কর্মশালায় এসে আমার মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে, আমরা নির্বাচন কেন করি? এর উত্তর অত্যন্ত সহজ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। গণতন্ত্র হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের বেছে নেওয়া এবং তাঁদের দিয়ে জাতীয় বা স্থানীয় পর্যায়ে দেশ পরিচালনা করা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রত্যেকেই নির্বাচিত হবেন এবং ওই পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না।’তালুকদার আরও বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য শব্দ দুটির ঔজ্জ্বল্য থাকে না। তার পরও আনুষ্ঠানিকতার কারণেই নির্বাচন করে যেতে হয়। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, নির্বাচনের মৌলিক কাঠামো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের দায়িত্ব পালনে কোনো শিথিলতা সহ্য করা হবে না। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো নির্বাচন করতে চাই না। নির্বাচনে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ | 390,907 |
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাহীদ এজাজ | opinion | মতামত | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৩:৩৭ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৩:৫০ | সাক্ষাৎকার,রাহীদ এজাজ,লেখকের কলাম | null | জেঁকে বসার আগেই দমন করতে হবে আইএসকে | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/710275 | ঢাকায় কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের শেষ প্রান্তে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। বাংলাদেশে তাঁর অভিজ্ঞতা ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।প্রথম আলো: দুই বিদেশি হত্যার পর বাংলাদেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি কীভাবে দেখেন? রবার্ট গিবসন: বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাতের ইতিহাস আছে। তবে এবারই প্রথম বিদেশিদের ওপর হামলা হচ্ছে, বিদেশিরা খুন হয়েছেন, যা লজ্জাজনক। পশ্চিমা নাগরিকসহ শিয়া ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর সম্প্রতি যেসব হামলা হয়েছে, তার সব কটির দায় স্বীকার করেছে আইএস এবং এটি উদ্বেগের। আমি আশা করব, ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাঝুঁকি থাকার বিষয়টি মেনে নিয়ে সরকার তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এরপর লোকজনকে এটা দেখাতে পারবে যে, কাজ ও বসবাসের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ। আইএস এখন পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য সন্ত্রাসী সংগঠন, যা আল-কায়েদার উত্তরসূরি এবং পৃথিবীজুড়ে সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন আছে আইএসের প্রতি। কাজেই পুরো পৃথিবী যে ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, এটি আমাদের মেনে নিতে হবে। সেই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে আইএসের বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়টিও। খিলাফত প্রতিষ্ঠা নয়, তাদের বৈশ্বিক উচ্চাভিলাষ প্রমাণিত হয়েছে বৈরুত, তিউনিস ও প্যারিসের নৃশংস হামলাগুলোতে। নিজেদের উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য আইএস পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে। তাই আমার বিশ্বাস, তৎপরতা চালানোর জন্য আইএস যেকোনো দেশকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। এ ধরনের গোপন সংগঠনগুলোর লোকজন কোথায় আছে আপনিও জানবেন না। কিন্তু তাদের উপস্থিতির প্রমাণ আপনি দেখবেন এবং এটিও বুঝতে পারবেন যে বাংলাদেশে তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থনও আছে। তাই জঙ্গি সংগঠনটি বাংলাদেশে জেঁকে বসার আগেই তাদেরকে আমাদের দমন করতে হবে। প্রথম আলো: আইএসের বাংলাদেশে উপস্থিতি সম্পর্কে আপনাদের কাছে থাকা তথ্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য? রবার্ট গিবসন: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে আইএসের দায় স্বীকারের দাবি থেকেই এখানে তাদের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। কাজেই একটি শক্তি হিসেবে তাদের আবির্ভূত হওয়ার আভাস আছে। আমরা ফের ধর্মীয় সংখ্যালঘু কিংবা পশ্চিমা স্বার্থে আইএসের হামলা দেখতে চাই না। বাংলাদেশের সরকার, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক আছে এবং আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে, সেগুলো আমরা তাদের দিয়েছি। প্রথম আলো: আপনারা আসলেই কি তথ্যগুলো দিয়েছেন? রবার্ট গিবসন: অবশ্যই। আমাদের হাতে যেসব তথ্য ছিল, সবই আমরা সরকারকে দিয়েছি। কোনো কিছুই লুকিয়ে রাখিনি। যেহেতু এখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই, তদন্ত চালানোর সামর্থ্যও আমাদের নেই। তা ছাড়া এসব আমাদের কাজও নয়। কাজটা করবে এখানকার গোয়েন্দা সংস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে আমরা যে তথ্য দিয়েছি, তার ভিত্তিতে তারা কাজ করতে পারে। প্রথম আলো: আপনারা তথ্য দিয়েছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে! রবার্ট গিবসন: লোকজনের যে বিভ্রান্তি আছে সেটি বুঝতে পারি। আমরা বলতে পারি না, গুলশানের ‘ক’ নম্বর সড়কের ‘খ’ নম্বর বাড়িতে আইএস আছে। এটি বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা যে সক্রিয়, এ নিয়ে যে তথ্য আমরা তাদের দিয়েছি, সেটির ভিত্তিতে কাজ করা এখানকার সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব। আমি যখন তাদের ঠিকানাই জানি না, তাহলে দেওয়ার সুযোগ কোথায়! প্রথম আলো: বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের শঙ্কা এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে জঙ্গিদের হত্যার হুমকি এ দেশের ব্যবসার পরিবেশের জন্য কি নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করছে?রবার্ট গিবসন: এখনই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হচ্ছে না। আমার ধারণা, শুরুতে এ বিষয়ে লোকজন বেশ সতর্ক ছিলেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং লোকজনও মেনে নিয়েছেন, ঠিক আছে ঝুঁকি হয়তো আছে, তবে এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমাকে চলতে হবে। পৃথিবী যে প্রতিনিয়ত আরও জটিল, ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, তা সবাই মানছেন। যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজেদের এবং ওই দেশগুলোর সমৃদ্ধির জন্য কাজ করছেন। আর ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই তাঁদের ব্যবসা করতে হয়। আর এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কাজেই হোটেল, বিমানবন্দরসহ যেসব জায়গায় তাঁদের চলাফেরা করতে হয়, সেখানে তাঁদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তাঁরা এখানে আসতে থাকবেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সামর্থ্য আছে কি না সেটি জরুরি। প্রথম আলো: বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও বিরোধী নেতা-কর্মীদের হত্যা ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এখন কেমন? রবার্ট গিবসন: কোনো মুক্ত সমাজেই বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুমের মতো বিষয়গুলো গ্রহণযোগ্য নয়। প্রায় নিয়মিতভাবে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা বিষয়গুলো তুলেছি। আর আমাদেরকে সব অভিযোগের যথাযথ তদন্তের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা ছাড়া আলোচিত গুমের ঘটনাগুলোর তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। কারা, কেন এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খুঁজে বের করা উচিত। এ ধরনের ঘটনাগুলোর সুরাহা না হওয়া গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয় না। প্রথম আলো: আসন্ন পৌর নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কতটা পরিবর্তন আনবে? রবার্ট গিবসন: ভোটাধিকারের মাধ্যমে লোকজনের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগের প্রেক্ষাপট থেকে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জড়িত সবাই কতটা গঠনমূলকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন, সেটিও দেখার আছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং নির্ভয়ে ভোটে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম আলো: গত এপ্রিলের তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তো সুখকর নয়? রবার্ট গিবসন: ওই নির্বাচন নিয়ে নানা পর্যায়ে হতাশা আছে। তবে আমাদের হতাশা কয়েকটি বিষয়ে। এটি তো স্পষ্ট হয়েছে যে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছিল। অথচ ভোটের পরিবেশ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির কাজটা নির্বাচন কমিশনের ছিল। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার এবং এ বিষয়টিতে আমরা উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। প্রথম আলো: দেড় দশকের মধ্যে দুই দফায় বাংলাদেশে প্রথমে উপ-হাইকমিশনার ও পরে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়টাতে বাংলাদেশের পরিবর্তনটা কীভাবে দেখেন? প্রথম আলো: ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পরিবর্তন, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে পরিবর্তনের হাওয়া আমাকে বিস্মিত করে! ১৫ বছর আগে বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ ছিল না, অভাব ছিল শিক্ষা ও সুপেয় পানির। জীবনের মৌলিক চাহিদা আর জীবনযাত্রা নিয়ে মানুষের স্পষ্ট ধারণা ছিল না। এবার এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখেছি স্বাস্থ্যকর পায়খানা, সুপেয় পানির প্রাচুর্য। সেই সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে লোকজনের সচেতনতা আমাকে অবাক করেছে। আমার মতো অনেকের কাছে বিরাট এই পরিবর্তন খুব সহজেই চোখে পড়বে এবং দেশের জন্য এ এক বিরাট অর্জন। দ্বিতীয়ত, আমি যখন ঢাকা ছেড়ে যাই, তখন এত দালানকোঠা ছিল না। এখন তো ঢাকায় আকাশছোঁয়া দালানের ছড়াছড়ি। দেশজুড়ে ব্যাপক উন্নয়নের তৎপরতাও চলছে। প্রতিবছর সাড়ে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট ভালো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমি মনে করি, এই হার আরও বেশি হতে পারত। বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ঘিরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়া, রাজনৈতিক সংঘাত, হরতাল, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতার মতো চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জিত হচ্ছে না। আমি যখন আবার বাংলাদেশে ফিরব, তখন হয়তো এ সমস্যাগুলো থাকবে না বলে আশা রাখি। | 182,626 |
সামছুর রহমান | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৩ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩০ | রাজধানী | 0 | হোটেল–রেস্তোরাঁয় বৈশাখী খাবারের ধুম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/828391 | প্রচণ্ড দাবদাহে ঘরের বাইরে দুদণ্ড দাঁড়ানোর উপায় নেই। দীর্ঘক্ষণ বসে গল্পগুজব করা তো দূর অস্ত। এর মধ্যে বিকেল পাঁচটার পরে উন্মুক্ত স্থানে থাকবে না বর্ষবরণের কোনো আয়োজন। তাই পয়লা বৈশাখে রাজধানীর বাসিন্দারা হয়তো দল বেঁধে সময় কাটাবেন রেস্তোরাঁয়। এমন ভাবনা থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁগুলো সেজেছে বৈশাখী সাজে, ব্যবস্থা করেছে মুখরোচক খাবারের।এ ছাড়া বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ জাতীয়ভাবে উদ্যাপনের জন্য অভিজাত হোটেল ও ক্লাবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজনের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। তাই রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোও আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাবারের।বাঙালি খাবারের জন্য বিখ্যাত পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে। শ্রীশদাস লেনের বিউটি বোর্ডিংয়ে থাকছে ভাত, নানান পদের ভর্তা-ভাজি, মুড়িঘণ্ট, পাঁচমিশালি সবজি ও কয়েক পদের মাছ। হোটেল আল রাজ্জাকে থাকছে ইলিশ খিচুড়ি, চিংড়ি পোলাও। নাজিমউদ্দিন রোডের নীরব হোটেলে বছরজুড়েই দেশি খাবারের নানান পদ থাকে। ভর্তা-ভাজি ও কয়েক পদের মাছ ও মাংসের আয়োজন থাকছে এখানে।ধানমন্ডি এলাকায় খানিক পরপরই রেস্তোরাঁ। চোখধাঁধানো সাজসজ্জার এসব রেস্তোরাঁ সেজেছে বৈশাখী সাজে। থাইল্যান্ডভিত্তিক চেইন আইসক্রিম পার্লার ক্রিম অ্যান্ড ফাজের ধানমন্ডি শাখায় ঢুকতেই দেখা গেল, ছাদ থেকে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি, ঘুড়ি। দেয়ালে টানানো হয়েছে হাতপাখা, বাঘের মুখোশ, ঢোল, কুলা। শাখার ব্যবস্থাপক রিক ভিনসেন্ট বললেন, ‘আগের বছরগুলোতে আমরা নিজেরা সাজাতাম। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীদের দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রচণ্ড গরম আর বিকেলে অনুষ্ঠান না থাকায় নববর্ষের আয়োজন ক্যাফেকেন্দ্রিক হবে বলেই আশা করছি।’ধানমন্ডির ৯/এ-এর রানা কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ঢোকার সিঁড়িতে আঁকা রঙিন আল্পনা। এখানে থাকছে পান্তাভাত, ভর্তা ও ইলিশ ভাজা, ইলিশ পোলাও ও ইলিশ খিচুড়ি। জনপ্রতি খরচ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।ধানমন্ডির ৯ /এ অবস্থিত শর্মা কিং রেস্তোরাঁতে আয়োজন করা হয়েছে ইলিশ পোলাওয়ের, সঙ্গে কোমল পানীয় ও সালাদ। খরচ ৩৪৯ টাকা।৩৫টি বাঙালি খাবারের পদ দিয়ে সাজানো হয়েছে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের গোল্ডেন স্প্যুন রেস্তোরাঁর ব্যুফে। বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চালু থাকবে এই সুযোগ। জনপ্রতি ৩৯০ টাকা। বাঙালি সাজসজ্জার পাশাপাশি লালমাটিয়ার কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁয় থাকছে পান্তা ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ খিচুড়িসহ মোট আটটি নতুন পদ। খরচ পড়বে জনপ্রতি ৩৫০-৪০০ টাকার মধ্যে।পান্থপথের ক্লাউড বিস্ত্রোতে তিন দিনের বর্ষবরণ আয়োজনে থাকছে বৈচিত্র্যময় সামুদ্রিক খাবারের সমাহার। সি-ফুড প্ল্যাটার, কিং প্রন উইথ গ্রিক স্যালাড পানীয়র মধ্যে থাকছে ফায়ার অন আইস, ম্যাঙ্গো কুলার।ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বনানী, খিলগাঁও, মিরপুর এলাকার রেস্তোরাঁ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেস্তোরাঁগুলো নিজেদের নিয়মিত খাবারের তালিকার বাইরে দেশি খাবারের নানান পদ রাখার চেষ্টা করছে। ইলিশ ভাজা, নানান ধরনের ভর্তা ও সালাদ, চাটনি পয়লা বৈশাখের খাবারের তালিকায় রাখতে চেষ্টা করছেন রেস্তোরাঁর মালিকেরা।বৈশাখী আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত নগরের অভিজাত হোটেলগুলোও। লা মেরিডিয়ান হোটেলে সাজসজ্জা ও খাবার পরিবেশনে দেশি ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। থাকছে বাউলগানের আসর, লোকজ মেলা ও তাদের বিভিন্ন দেশি পাচকের হাতে তৈরি দেশি খাবারের সমাহার।হোটেল সারিনা আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। এ ছাড়া থাকছে ১০ দিনের বাংলা খাদ্য উৎসব। চৈত্রসংক্রান্তির দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল শুরু হওয়া বৈশাখী মেলায় থাকছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, কারুশিল্প, বাঁশ, বেত, কাঠ, পাট ও চামড়াজাত পণ্যের সমাহার। থাকছে মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, হাওয়াই মিঠাইসহ অনেক কিছু।হোটেল আমারির আমায়া ফুড গ্যালারিতে সকাল, দুপুর ও রাতের আয়োজনে থাকবে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের সমারোহ। | 219,978 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫১ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫২ | বিশাল বাংলা,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ | 0 | বগুড়ায় আট দফা দাবিতে আলুচাষিদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/153592 | ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষিদের ক্ষতিপূরণ, আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করাসহ আট দফা দাবিতে বগুড়ায় রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের উদ্যোগে শহরের সাতমাথা এলাকায় গতকাল শনিবার বিকেলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।আট দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, সরকারি উদ্যোগে উৎপাদন খরচের সঙ্গে ৩০ ভাগ মূল্য সহায়তা দিয়ে কৃষকদের আলু ক্রয় করা ও আলুভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংগঠনের জেলা সংগঠক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ হয়।সমাবেশে ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ বলেন, আলু এ অঞ্চলের অন্যতম অর্থকরী ফসল হলেও প্রতিবছর কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। সম্প্র্রতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কৃষকেরা আগাম আলুসহ শাকসবজি পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি অবিলম্বে তাঁদের আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াজেদ পারভেজ, বাসদের নওগাঁ জেলা আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন, বাসদের সিরাজগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক নবকুমার কর্মকার, বাসদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক দেবাশীষ রায় প্রমুখ। | 53,561 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৩:৩৪ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ২০:৪৬ | সরকার | null | পোশাক শ্রমিকদের উৎসব ভাতা রোববারের মধ্যে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/632419 | তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার শ্রমিকদের কোরবানির ঈদের উৎসব ভাতা রোববারের (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া ঈদের আগে চলতি মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়া হবে। শ্রম আইনে উৎসব ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।আজ মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শ্রম আইনে উৎসব ভাতা দেওয়ার কথা না থাকলেও মালিকেরা এটি দিয়ে আসছেন। এ জন্য ২০ তারিখের মধ্যে এই উৎসব ভাতা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শ্রম আইন অনুসারে বেতন পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধের কথা। কিন্তু ঈদের কারণে শ্রমিকদের অন্তত ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এতে তাঁরা রাজি হয়েছেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনের বিধি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামীকাল এর গেজেট জারি হবে। ওই বিধিতে উৎসব ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।সভায় ঈদের ছুটি আগের মতো পর্যায়ক্রমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। | 168,919 |
মো. আফলাতুন | education | শিক্ষা | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:০৫ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:০৫ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি | http://www.prothom-alo.com/education/article/1011645 | * ১৩ নম্বর প্রশ্ন: Form completionপ্রিয় পরীক্ষার্থী, ইংরেজি বিষয়ের ১৩ নম্বর প্রশ্ন থাকবে Form completion নিয়ে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ Form completion সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরের নমুনা দেওয়া হলো।1.Suppose, you are Akash Hasan. The name of your school is Sonapur Primary School. You want to be a member of the Student’s Welfare Organization of your school. Now fill up the form :Student’s Welfare OrganizationSonapur Primary SchoolShahadatpur, Noakhali.a. Name of the applicant :b. Mother’s name :c. Father’s name :d. Date of birth :e. Class :AnswerStudent’s Welfare OrganizationSonapur Primary SchoolShahadatpur, Noakhali.a. Name of the applicant : Akash Hasanb. Mother’s name : Rahima Khatunc. Father’s name : Abul Hasand. Date of birth : 02/03/2007e. Class : Five2.Suppose, you are Shamima Nahar. You live in Monoharpur, Comilla. You want to be a member of a Charitable Organization of your locality. Now fill up the form :Monoharpur Charitable Organization, ComillaMembership Forma. Name of the applicant :b. Mother’s name :c. Father’s name :d. Date of birth :e. Class :AnswerMonoharpur Charitable Organization, ComillaMembership Forma. Name of the applicant : Shamima Naharb. Mother’s name : Tahera Parvinc. Father’s name : Shafiqul Islamd. Date of birth : 05/05/2007e. Class: Five*বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালঅধ্যক্ষ, প্রচেষ্টা ক্যাডেট স্কুল, ঢাকা | 289,315 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ জুলাই ২০১৫, ০০:১৮ | ০৩ জুলাই ২০১৫, ০০:১৯ | যুক্তরাজ্য | 0 | বিবিসির প্রত্যাখ্যান | http://www.prothom-alo.com/international/article/568237 | যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমপিরা মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠনটি বোঝাতে ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস নামটির ব্যবহার বন্ধ করার জন্য বিবিসির প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিবিসির মহাপরিচালক টনি হলের যুক্তি, ওই দাবি বিবিসির নিরপেক্ষতার নীতির পরিপন্থী এবং আইএসের বিরোধীদের পক্ষে যাবে। সে ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম ‘ইসলামিক স্টেট গ্রুপ’ বলা যেতে পারে। ওই এমপিরা আইএসের মূল আরবি নামের আদ্যাক্ষরগুলোর সমন্বয়ে ‘দায়েশ’ শব্দটি ব্যবহারের প্রস্তাব করেছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে অনেকে এ নামটি ব্যবহার করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও বলেছেন, একটি ‘ভয়ংকর শাসনব্যবস্থার’ নাম হিসেবে ‘ইসলামিক স্টেট’ শব্দগুলো শুনলে মুসলিমরা কুণ্ঠিত হন।গার্ডিয়ান | 150,031 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৫২ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:১২ | আরব বিশ্ব,ফিলিস্তিন,ইসরায়েল | 0 | গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহত | http://www.prothom-alo.com/international/article/1574232 | গাজায় ইসরায়েলি সেনার গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল–জাজিরা। নিহত ওই নারীর নাম আমল আল-তারামসি।মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কাদরা বলেন, গতকাল শুক্রবার পূর্ব গাজা অঞ্চলে বিক্ষোভ করার সময় ওই নারীকে মাথায় গুলি করা হয়। গত মার্চ মাসে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর এ নিয়ে তিন নারীকে হত্যা করা হলো। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৪১ জনের বেশি নিহত হয়েছে।কাদরা বলেন, শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে যে ২৫ জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন গণমাধ্যমকর্মী ও একজন চিকিৎসক রয়েছেন।ইসরায়েলের এক সামরিক মুখপাত্র বলেন, ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। দাঙ্গার সময় গাজার নিরাপত্তাবেষ্টনীর কাছে টায়ার জ্বেলে, পাথর, বিস্ফোরক ও গ্রেনেড ছুড়ে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ করা হয়।ইসরায়েলি সেনারা হামাসের দুটি দলের ওপর আঘাত হানে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক বলেছেন, হাজারো বিক্ষোভকারী গাজা শহরে জড়ো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি বেশ জোরালো বিক্ষোভ। তারা সীমান্তের কাছে কাঁটাতারের বেড়া উপড়ে ফেলতে চাইছে। ইসরায়েলি সেনারা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে। | 386,755 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৭ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৮ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ | 0 | শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, সিমেন্ট কারখানায় ভাঙচুর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/756496 | নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর জেটি এলাকা থেকে গতকাল রোববার এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা নিহত ব্যক্তির কর্মস্থল সিদ্ধিরগঞ্জের আইলপাড়া এলাকার সেভেন হর্স সিমেন্ট কারখানায় ভাঙচুর করেছে।নিহত বিল্লাল হোসেন (৩৮) আইলপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। সেভেন হর্স সিমেন্ট কারখানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। সহকর্মীরা বলেন, বিল্লাল গত শনিবার বেলা দুইটায় কাজে যোগ দেন। রাত আটটার পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন।পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে শীতলক্ষ্যা নদীর কারখানার জেটি-সংলগ্ন এলাকায় একটি লাশ দেখে স্থানীয় জনতা তাদের খবর দেয়। পুলিশ বেলা ১১টায় লাশ উদ্ধার করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিহত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন সেভেন হর্স সিমেন্ট কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীর কার্যালয় ও সিমেন্ট বহনকারী ছয় থেকে সাতটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সকাল থেকে আট ঘণ্টা কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মু. সরাফত উল্ল্যাহ বলেন, বিল্লাল হোসেনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, বিল্লালের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার একই কারখানার এক কর্মচারীর ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার সূত্র ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটজনকে থানায় আনা হয়েছে।সেভেন হর্স কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সেলিম রেজা বলেন, সকালে বিল্লালের লাশ উদ্ধারের পর উত্তেজিত জনতা কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষের জানালার ও ছয় থেকে সাতটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল।নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। | 197,674 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০৫ | ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০৭ | বলিউড | null | এবার নানার বিরুদ্ধে তনুশ্রীর মামলা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1560451 | তনুশ্রী দত্ত গত বৃহস্পতিবার অভিনেতা নানা পাটেকার আর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর আইনজীবীদের পাঠানো আইনি নোটিশ পেয়েছেন। সম্প্রতি এই দুজনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন তিনি। আইনি নোটিশ পেয়ে তনুশ্রী একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দুটি আইনি নোটিশ পেয়েছি আজ (বৃহস্পতিবার)। একটি নানা পাটেকারের কাছ থেকে, অন্যটি বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাছ থেকে। এটা হলো ভারতে যৌন হেনস্তা, অপমান ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলার পুরস্কার।’এবার বলিউডের শক্তিমান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ২০০৪ সালের ‘মিস ইন্ডিয়া’ ও একসময়ের বলিউড তারকা তনুশ্রী দত্ত। মুম্বাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মনোজ কুমার শর্মা পিটিআইকে জানিয়েছেন, নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে।জানা গেছে, গতকাল শনিবার তনুশ্রী দত্ত মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা পুলিশ স্টেশনে এই অভিযোগ করেছেন। এখানে তিনি জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্যের নামও উল্লেখ করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকার তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছেন।তনুশ্রী আগেই বলেছেন, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি আইটেম গানের শুটিংয়ের সময় বাজেভাবে তাঁর শরীরে হাত দেন নানা পাটেকার। ঘটনার প্রতিবাদ করায় ছবির প্রযোজক ও পরিচালক কেউই তখন পাত্তা দেননি। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিনটা) কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছিল একদল লোক।এদিকে ‘হাউসফুল ফোর’ ছবির শুটিং শেষ করে জয়সলমির থেকে মুম্বাই ফিরেছেন নানা পাটেকার। মুম্বাই বিমানবন্দরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি ১০ বছর আগেই কথা বলেছি। যেটা মিথ্যা সেটা মিথ্যাই।’ আরও জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করবেন নানা পাটেকার।গত সপ্তাহে সিনটা একটি বিবৃতি দিয়েছে। এই বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘কোনো ব্যক্তির সম্মান হরণ বা যৌন হেনস্তার ঘটনা কাম্য নয়। সিনটা এর তীব্র নিন্দা করছে।’এর আগে তনুশ্রী দত্ত জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে তিনি নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে সিনটায় যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তখন তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ব্যাপারে বিবৃতিতে সিনটা লিখেছে, ‘২০০৮ সালে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তনুশ্রী দত্ত। তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জয়েন্ট ডিসপুট সেটেলমেন্ট কমিটি এবং ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টিভি প্রডিউসারস কাউন্সিল (তখন নাম ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব মোশন পিকচার্স অ্যান্ড টিভি প্রোগ্রাম প্রডিউসারস)। ওই সিদ্ধান্ত যথাযথ ছিল না। যৌন হেনস্তার অভিযোগ তখন খতিয়ে দেখা হয়নি।’‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির সহকারী পরিচালক শাইনি শেঠি নিশ্চিত করেছেন, তনুশ্রীর অভিযোগ সত্য। তিনি জানিয়েছেন, ‘ঘটনার পর অস্বস্তি বোধ করেছিলেন তনুশ্রী, সেটা আমি টের পেয়েছিলাম। একজন মেয়ে হিসেবে আমার সেটা বোঝারই কথা। সেটা আমার প্রথম ছবি ছিল, আমি ছিলাম সহকারী পরিচালক। ফলে ওই সময় আমার কিছু করার ছিল না। তনুশ্রী যা করেছেন, সেটার জন্য আজ আমি গর্বিত।’ | 378,919 |
মেহেরপুর সংবাদদাতা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মার্চ ২০১৭, ০১:৩০ | ০৮ মার্চ ২০১৭, ০১:৩০ | মেহেরপুর,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | মেহেরপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1100722 | মেহেরপুরে দুই ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মামলত হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলত (৪৫) পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য। গত রোববার রাতে সোনাপুর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ (৫৫) ও পোলট্রি ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামকে (৫০) অপহরণ করা হয়। পরদিন তাঁদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়। মজিদের ছেলে আব্বাস আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের এত টাকাপয়সা নাই। আব্বাকে কেন খুন করা হলো, আমরা তার কিছুই বলতে পারি না?’ এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি সদস্য আরজান আলীর সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মামলতের বিরোধ চলছিল। মজিদ ও আসাদুল ছিলেন আরজানের সমর্থক। কিন্তু কেন তাঁদের খুন করা হলো, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে সোনাপুর গ্রামে এর আগেও এ রকম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর আগেও নিরীহ লোকদের অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেন, ‘সেনাপুরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলতকে আটক করা হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে কাজ করছি। একটু সময় লাগবে এর রহস্য উন্মোচিত হতে।’ বিকেলে মুঠোফোনে মেহেরপুর সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গত ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। জড়িত সন্দেহে মামলতকে আটক করা হয়েছে। | 300,736 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ আগস্ট ২০১৫, ০২:৪৭ | ১০ আগস্ট ২০১৫, ০২:৪৮ | সরকার | 0 | হরতাল–অবরোধ না হলে আরও ভালো হতো ফল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/598636 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র পরীক্ষার সময় আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হলে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আরও ভালো হতো। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তরকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসসের।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় বিএনপি-জামায়াত চক্র হরতাল ও অবরোধ ডেকে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের মতো নৃশংস অপরাধে জড়িত ছিল।পরীক্ষার সময় বিএনপি-জামায়াতের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের সমস্যা চলছিল, যা ছিল মানব সৃষ্ট সমস্যা। বিএনপি-জামায়াত পরীক্ষা শুরুর আগে হরতাল দিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা যখন শুরু হলো, তখন তারা হরতালের সঙ্গে অবরোধ কর্মসূচিও ঘোষণা করল। এরপর তারা তথাকথিত আন্দোলনের নামে গাড়ি জ্বালিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা শুরু করল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তারাই করেছে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চায়, শিক্ষার কণ্ঠরোধ করতে চায় এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে চায়। এটা তাদেরই চক্রান্ত ছিল, যারা ক্ষমতায় থাকার সময় মানুষের ওপর অত্যাচার-জুলুম করেছে, দুর্নীতি ও লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাঠিয়েছে।কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া ও দেওয়া খুবই কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েরা এসব বাধা অতিক্রম করে পরীক্ষা দিয়েছে এবং সফল হয়েছে—এটি এক বিরাট সাফল্য।’ শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অনুসরণে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। শিশুদের লেখাপড়ায় আগ্রহী করা, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলাও আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে।’পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনা ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং ১০ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। | 158,851 |
দেব দুলাল গুহ | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৩ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩৩ | ০৩ আগস্ট ২০১৫, ০২:০১ | প্রজন্ম ডট কম | 0 | ডানা মেলা ইন্টারনেট | http://www.prothom-alo.com/technology/article/591988 | ইন্টারনেট প্রযুক্তি যেন এক জাদুর দুনিয়া। কী দারুণ দক্ষতায় মুহূর্তের মধ্যেই গোটা দুনিয়াকে একসূত্রে গেঁথে ফেলে! তথ্য-বিনোদন-যোগাযোগের এই অনন্য মাধ্যমটি ছাড়া আপনার হয়তো একটি মুহূর্ত কল্পনা করা কঠিন। অথচ আপনি জানেন কি, পৃথিবীর ১০ শতাংশ মানুষ এখনো ইন্টারনেট-সুবিধা থেকে বঞ্চিত?প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুলাই তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ‘অ্যাকুইলা’ নামের একটি বিশেষ ধরনের চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) তৈরির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিমান উড়ে উড়ে দেবে ইন্টারনেট সংযোগ।কী এই অ্যাকুইলা?অ্যাকুইলা হলো বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি সৌরশক্তিচালিত ড্রোন। এর ডানার দৈর্ঘ্য একটি বোয়িং-৭৩৭ বিমানের ডানার সমান, কিন্তু ওজন একটি গাড়ির ওজনের চেয়েও কম। দুই দিকের ডানায় যুক্ত চারটি ঘূর্ণমান পাখার সাহায্যে এটি ৬০ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় তিন মাস পর্যন্ত ভেসে থেকে ইন্টারনেট-সুবিধা দিতে সক্ষম বলে জানান ফেসবুক অ্যাভিয়েশন টিমের প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অ্যান্ডি কক্স।কীভাবে কাজ করবে?লেজার রশ্মি ও বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করা হবে এতে। প্রথমে ভূপৃষ্ঠের ইন্টারনেট সরবরাহের স্টেশন থেকে একটি অ্যাকুইলায় লেজার রশ্মির মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হবে। এরপর এটি থেকে অন্য অ্যাকুইলাগুলোয় একইভাবে তথ্য যাবে। প্রতিটি অ্যাকুইলা আকাশে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে লেজার রশ্মির মাধ্যমে নিচে পৃথিবীতে হটস্পটের আওতাধীন এলাকায় অবিরতভাবে ইন্টারনেট-সংযোগ দিতে পারবে। এই প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত লেজার রশ্মিকে লেজার যোগাযোগব্যবস্থায় এক মাইলফলক বলে দাবি করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। তাঁর মতে, নতুন পরীক্ষিত এই লেজার প্রতি সেকেন্ডে ১০ গিগাবাইট তথ্য পাঠাতে পারে, যা আগের যেকোনো ব্যবস্থার চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত এবং ১০ মাইলেরও বেশি দূরত্ব থেকে নির্দিষ্ট বিন্দুলক্ষ্যে যুক্ত হতে পারে।সবার জন্য ইন্টারনেটস্বল্পমূল্যে সবার কাছে ইন্টারনেট-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্পের লক্ষ্য। মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, এই প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে যুক্ত করতে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। বিমানের মাধ্যমে সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি বলে মনে হতেই পারে। তবে তাঁর দাবি, এখন সেটা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। ‘আসছে মাসগুলোতে এই প্রযুক্তির সক্ষমতাকে বাস্তবে পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং প্রয়োজনে প্রযুক্তির পরিবর্তন-পরিমার্জন করা হবে’ বলেও জানান তিনি।জনগণ যা ভাবছেঅ্যাকুইলা নিয়ে একটি ভিডিও ফেসবুকে দিয়েছেন মার্ক। যেটি গতকাল পর্যন্ত ৫০ লাখ বারেরও বেশি দেখা হয়েছে। অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। অমিড ফ্যারিবার লিখেছেন, ‘বোমা নয়, ইন্টারনেট নিচে ফেলো।’ এই প্রকল্পে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। আর বাংলাদেশের নওগাঁর বাপ্পী সরকার লিখেছেন, ‘আমি সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি, যেদিন বেতারের মতো ইন্টারনেটও মিলবে বিনা মূল্যে।’ সূত্র: ফেসবুক | 157,196 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৮ জানুয়ারি ২০১৬, ১০:৪১ | ২৮ জানুয়ারি ২০১৬, ১০:৪২ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | শুরুর ধাক্কা সামলে সেমিফাইনালে বার্সা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/752881 | ১২ মিনিটে ইনাকি উইলিয়ামসের গোলটা ন্যু ক্যাম্পের একটা অংশকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল নির্ঘাত। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ২-২ সমতা। বার্সেলোনা অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে এগিয়ে আছে বটে, কিন্তু আর একটা গোলেই হয়ে যেতে পারে সর্বনাশ। ম্যাচে তখনো ৮০ মিনিটের মতো বাকি। অ্যাথলেটিক বিলবাও আরেকবার বার্সার জাল খুঁজে পাবে না—গ্যারান্টি আছে? এই মৌসুমে অসম্ভবের পেছনে ছুটছে বার্সা। গতবার শিরোপা-ত্রয়ী জিতেছিল, এক বছরে সব মিলিয়ে পাঁচটি ট্রফি। তবুও ক্ষুধা মেটেনি। আবারও শিরোপাত্রয়ীর পুনরাবৃত্তি চায় লুইস এনরিকের দল। কিন্তু শুরুতেও অমন ধাক্কা! ভয়টা থাকল ম্যাচের ৫২ মিনিট পর্যন্ত। অবশেষে ৫৩ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের গোল প্রায় ছিটকে দিল বিলবাওকে। তাতেও যদি বিলবাও অলীক প্রত্যাবর্তনের আশায় লড়াই করেও থাকে, ৮১ মিনিটে জেরার্ড পিকে শেষ করে দিলেন। যোগ করা সময়ে নেইমারের গোল বার্সাকে ৩-১ গোলের দাপুটে জয়ই এনে দিল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে জিতে কোপা ডেল রের সেমিফাইনালে উঠে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।কাল রাতে বার্সার শুধু একটাই খামতি থাকতে পারে, গোলদাতার তালিকায় লিওনেল মেসির নাম না-থাকা। ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা কিংবা চোটের কারণে তিন ম্যাচে প্রথমবারের মতো আবারও এমএসএন-ত্রয়ী জুটি বাঁধল। তাতে এস-এন গোল পেলেও ‘এম’-এর নাম উঠল না। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অপেক্ষাটাও একটু বাড়ল! একটা গোল পেলেই মেসি-রোনালদো দুজনের মোট গোল হয়ে যেত ১০০০! গত ম্যাচে রোনালদো গোল করেননি, এবার মেসিও।সুয়ারেজ এদিকে মৌসুমে নিজের ৩০ নম্বর গোলটি করে যেন বার্তা দিয়ে রাখলেন, আট বছর পর পরের ব্যালন ডি’অরে নতুন মুখের কাছেই হয়তো যাচ্ছে। সুয়ারেজ তাতে বড় দাবিদার তো অবশ্যই। নেইমারও শেষ প্রান্তে মৌসুমে নিজের ২১তম গোলটি করলেন। নামটি মেসি বলেই চোখে লাগছে। না হলে চোটজর্জর এই মৌসুমেও কিন্তু মেসি করেছেন ২০ গোল!কাল রাতে কোপা ডেল রের সবচেয়ে বড় খবর অবশ্য বার্সার জয় নয়—অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিস্ময়কর পরাজয়। নিজেদের মাঠে অ্যাটলেটিকো ৩-২ গোলে হেরে গেছে সেল্টা ভিগোর কাছে। এই পরাজয়ে ‘কিংস কাপ’ নামে পরিচিত রাজার এই কাপ থেকে রাজধানী মাদ্রিদের দুই পরাশক্তিই বিদায় নিল। আজ কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি দুই ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে সেভিয়া-মিরান্দেস ও লাস পালমাস-ভ্যালেন্সিয়া। এরপরই জানা যাবে শেষ চারে উঠল বাকি কোন দুটি দল। এরপর ড্রয়ে নির্ধারিত হবে, সেমিতে কে মুখোমুখি হচ্ছে কার। | 196,260 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:১৮ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:১৯ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত জটিলতায় ব্যাহত চিকিৎসাসেবা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/769318 | জনবল সংকট, অবকাঠামো সমস্যা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং প্রভাবশালীদের প্রভাবের কারণে রাঙামাটিতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতাদের মধ্যে সচেতনতা ও সুসম্পর্ক সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত সেবাগ্রহীতা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সহযোগিতায় রাঙামাটি সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এ সভা আয়োজন করে। সভায় জেলার বর্তমান ও সাবেক সিভিল সার্জন, চিকিৎসাকর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও রোগীদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি সনাকের সভাপতি চাঁদ রায়। প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন স্নেহ কান্তি চাকমা। তিনি বলেন, রাঙামাটি জেলায় চিকিৎসকের সংকট রয়েছে। সারা জেলায় ১৭৫টি চিকিৎসকের পদে কর্মরত আছেন ৭৯জন। জেনারেল হাসাপাতালে ৩১জন চিকিৎসকের পদে কর্মরত আছেন ১২জন। হাসপাতালটি ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও অবকাঠামো এখনো আগের মতোই রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের ভালো ব্যবহার রোগী এবং রোগীদের অভিভাবকদের মানসিক সন্তুষ্টি এনে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।রাঙামাটির সাবেক সিভিল সার্জন সুপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, সেবাদাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে সুসম্পর্ক হাসপাতালের পরিবেশকে সুন্দর এবং সংকট উত্তরণে সহায়তা করতে পারে।কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া থেকে আসা রোগীর স্বজন জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি শুনেছি রাঙামাটি জেনারেল হাসপতালে চিকিৎসাসেবা ভালো। কিন্তু এখন দেখছি অধিকাংশ পরীক্ষা–নীরিক্ষা বাইরের রোগ নির্নয়কেন্দ্র থেকে করতে হচ্ছে।রোগীর স্বজন নু থুই মারমা জানান, তিনি কয়েক দিন আগে তাঁর অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের টিকিট কেনার পর অনেকক্ষণ ঘুরে জানতে পারেন হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আসেননি। চিকিৎসকদের উপস্থিতির তথ্য দৃশ্যমান স্থানে রাখা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।নারীবান্ধব হাসপাতাল প্রকল্পের কর্মী অনিতা দেব বর্মণ গাইনি ওয়ার্ডে পুরুষদের অবাধ প্রবেশ এবং অবস্থান বন্ধের অনুরোধ জানান।চিকিৎসকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. শওকত আকবর, গাইনি বিশেষজ্ঞ নিহার রঞ্জন নন্দী, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ এম এ হাই প্রমুখ। | 201,634 |
অরূপ দত্ত | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:০৪ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:০৬ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | চুলা জ্বলছে না অনেক এলাকায় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/781981 | রাজধানীর অনেক এলাকায় চুলা জ্বলছে না। সিলিন্ডার কিনে বা ভাড়া নিয়ে রান্নার কাজ সারছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। অথচ প্রতি মাসে তিতাসের বিল দিচ্ছেন তাঁরা।গত বৃহস্পতিবার মিরপুরে তিতাসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে গিয়ে গ্রাহকেরা জানতে চেয়েছেন, তাঁরা কেন বিল দেবেন? গ্যাসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শীত মৌসুম চলে গেলেও গ্যাসের স্বল্পচাপ সামলাতে তিতাসের ১২টি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন ছোটাছুটি করছেন। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছে না।রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকার গাওয়াইর, মোল্লার টেক, প্রেমবাগান এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার এখন অনেকটা নিয়ম হয়ে গেছে। গাওয়াইর এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, বর্তমানে তাঁরা গ্যাসের বাড়তি বিল দিচ্ছেন, কিন্তু চুলায় গ্যাস থাকে না।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তর খান, মিরপুর, কাজীপাড়া, ৬ নম্বর সেকশন, পল্লবী, কালশী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুরের শেকেরটেক ও আশপাশের এলাকা, লালবাগ, গোপীবাগ অভয় দাস লেন, পেয়াদাপাড়া, গেন্ডারিয়া, গোয়ালনগর, বাবুর দেউড়ীসহ অনেক এলাকায় দিনে-রাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা গ্যাসের চুলা জ্বলছে না। ফলে রান্নাবান্নায় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের পর দিন এ সমস্যার কারণে সিলিন্ডার ছাড়াও কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে কেরোসিনের চুলা, মাটির চুলায় বা ছাদে কাঠ জ্বালিয়ে রান্না করছেন। বিশেষ করে রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরখান এলাকায় এ অবস্থা ভয়াবহ।তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা থেকে তিতাসকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হয়। তবে এর মাত্র ৮ শতাংশ পান আবাসিক গ্রাহকেরা। তারপরও গ্যাসের স্বল্পচাপের সবচেয়ে বড় শিকার হন এই গ্রাহকেরা। বাকি ৯২ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক কাজে। শীতকালে তিতাস এলাকায় চাহিদা থাকে দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি।এখন পর্যন্ত গ্যাস না থাকায় গ্রাহকের বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করেন তিতাসের কর্মকর্তারাও। তিতাস গ্যাস কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-অপারেশন) ফাইজার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হওয়াটাই সংকটের বড় কারণ। এ ছাড়া বাখরাবাদ-সিদ্ধিরগঞ্জ ৩০ ইঞ্চি পাইপলাইনে ময়লা জমে থাকার সমস্যাটির পুরোপুরি সমাধান এখনো সম্ভব হয়নি।ডিজিএম আরও বলেন, সার কারখানাগুলো বন্ধ করে দিলে গ্যাস সমস্যা কিছুটা মিটতে পারে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখার জন্যই সার কারখানা বন্ধ রাখা হবে।এদিকে তিতাস সূত্র দাবি করেছে, কিছু সিএনজি স্টেশন কমপ্রেসরের মাধ্যমে গ্যাস টেনে নেওয়ায় কারণে আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় আঁচ কমে যায়। কারণ একটি নির্দিষ্ট এলাকার সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওই এলাকায় আবাসিক কাজে ব্যবহৃত চুলাগুলোয় আঁচ অনেক বেড়ে যেতে দেখা যায়।তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে জয়কালী মন্দির সিএনজি স্টেশন, পরিবাগে ন্যাশনাল সিএনজি, তেজগাঁও সাউদার্ন সিএনজিসহ কয়েকটি সিএনজি স্টেশন ঘুরে জানা যায়, সেসব স্টেশনেও গ্যাসের চাপ তুলনামূলকভাবে কমে গেছে। সাউদার্ন অটোমোবাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোরঞ্জন ভক্ত প্রথম আলোকে বলেন, সিএনজি স্টেশনের কারণে পুরো এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে যায়, এটা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। এমনিতেই অনেক দিন ধরে গ্যাসের চাপ কম। | 205,551 |
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:০৩ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:০৫ | পাটগ্রাম,লালমনিরহাট,রংপুর বিভাগ | null | বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1130861 | লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা সীমান্তের ওপারে মহির উদ্দিন (৪০) নামের এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের কলোনিপাড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের বাহাত্তুরেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মহির উদ্দিন দহগ্রাম ইউনিয়নের কলোনিপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরের দিকে মহির উদ্দিন দহগ্রাম সীমান্তের ৩ নম্বর ডিএপি মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ভারতের বাহাত্তুরেরচর গ্রামে যান গরু আনতে। পরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় সেখান থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতের কোচবিহার-২২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। পরে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যায়।বিজিবির পাটগ্রাম কোম্পানি কমান্ডার সুজা মিয়া জানান, সকালে ওই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে মহির উদ্দিনকে ফেরত চাইলে বিএসএফ কমান্ডার জানান, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে গরু নিয়ে ফেরত আসার সময় ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাই তাঁকে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের অপরাধে ভারতীয় মেকলিগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোর্শেদ ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। | 308,851 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:২১ | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪৬ | রাজনীতি,বিএনপি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | null | ঐক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি সরকারের নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1558818 | বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকারকে তাড়াতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন যাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, তাদের নিয়ে কখনো সংগ্রাম হয়? যাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাদের নিয়ে কীভাবে আন্দোলন হবে?খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঐক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি সরকারের নেই। সে জন্য তারা বিভিন্ন আবোলতাবোল কথা বলছে। তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো যতগুলো কালা কানুন আছে, সেসব থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় খন্দকার মোশাররফ এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।আওয়ামী লীগকে ছাড়া জাতীয় ঐক্য কীভাবে হবে? দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটা হাস্যকর। তিনি (ওবায়দুল কাদের) যদি হাস্যকরভাবে বলেও থাকেন, এরপরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে বলতে চাই, আপনারা যে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, হত্যা, গুম, নির্যাতন ও অত্যাচার করছেন, এর জন্য আগে আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান।’সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জনগণ যে ন্যূনতম পাঁচটি দাবিতে একমত হয়েছে—তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম বাতিল এবং নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে- ক্ষমা চেয়ে এই দাবিগুলোর সঙ্গে যদি একমত হয়ে ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা আপনাদের জাতীয় ঐক্যে আহ্বান জানাব। কারণ এই দাবিগুলোর সঙ্গে সবাই একমত হয়েছে। এই দাবিগুলো যদি আপনারা মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা আপনাদের জাতীয় ঐক্যে স্বাগত জনাব। কিন্তু এটা পারবেন না। এটা না পারলে জাতীয় ঐক্যে নেওয়াও সম্ভব না।’সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন এ দেশে আর হবে না এবং হতে দেওয়া হবে না। এই ভয়ে সরকার বিএনপিকে কোণঠাসা করতে চায়। যাঁরা নির্বাচনে ভূমিকা রাখবেন, তাঁদের কারাগারে রাখতে চাচ্ছে। সে কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমাদেরও যেকোনো সময় নিয়ে যেতে পারে। এই একটি পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে।’নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ দাবি করেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৩০ জনের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৬৩৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসবের কারণে দেশ একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন। | 377,707 |
খলিল রহমান, সুনামগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩১ | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩৩ | পরিবেশ,সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ | 0 | ‘দুর্যোগ তো দেখি আমরার পিছন ছাড়ের না’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1288246 | ‘বৈশাখ মাসে হাওরের বোরো ধান গেল। এরপর তুফানে ভাঙল ঘর। হাওরের মাছও মরল। এখন আবার বইন্যা আইছে। কিছু আমন ধান লাইছিলাম, ইতাও ডুবি গেছে। ঘরও পানি। বউ-বাইচ্ছা লইয়া মহাবিপদে আছি। খানি নাই, কোনো কাজও নাই। আমরা কি-লা বাঁচতাম।’সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরপাড়ের কৃষক জমির মিয়া (৪৮) এভাবেই তাঁর চরম অসহায়ত্বের কথা বলছিলেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে তিন দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছেন তিনি। স্ত্রী আর চার ছেলেমেয়ে নিয়ে জমির মিয়ার সংসার। গতকাল রোববার দুপুরে বাড়ির সামনে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল জমির মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, হাওরে ছোট জাল দিয়ে কিছু মাছ ধরেছিলেন। তা বিক্রি করে তিন কেজি চাল কিনেছেন। এই চাল নিয়ে ঘরে গেলে ভাত রান্না হবে। এরপর সবাইকে নিয়ে খাবেন। পরের দিনের চাল-পাতের ব্যবস্থা হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত।শুধু জমির মিয়া একা নন, সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার অধিকাংশ কৃষক পরিবারের এখন এই দুর্দশা। গত বৃহস্পতিবার থেকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণে জেলার আটটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।দুর্যোগ যেন সুনামগঞ্জের মানুষের পিছু ছাড়ছে না। গত এপ্রিলে জেলার প্রধান ফসল বোরো ধান তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে মরেছে হাওরের মাছ। অনেকেই কালবৈশাখীতে হারিয়েছেন মাথা গোঁজার ঠাঁই। এমনিতেই হাওর এলাকার ফসলহারা নিঃস্ব-অসহায় মানুষের দিন যাচ্ছে সীমাহীন কষ্টে। তার ওপর এখন নতুন দুর্যোগ—বন্যা দেখা দিয়েছে। হাওরের বড় বড় আফালে (ঢেউ) ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পানিবন্দী মানুষের ঘরবাড়ি। অনাহারে-অর্ধাহারে টিকে থাকা মানুষগুলোর সামনে বন্যা যেন খাঁড়ার উপর মড়ার ঘা হয়ে এসেছে।সদর উপজেলার নিধিরচর গ্রামের কৃষক আসক আলী (৪৫) বলেন, তিনিও ফসলহারা কৃষক। এরপর ঝড়ে ঘর ভেঙেছে। ধারদেনা করে তিন কেদার জমিতে আমন ধানের চারা লাগিয়েছিলেন। এই ধানও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পাঁচ মেয়ে, দুই ছেলেসহ নয়জনের পরিবার তিনি একাই চালান। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে আসক আলী বলেন, ‘এখন আর চলার কোনো পথ নাই। কার কাছে যাইমু, কার কাছে সাহায্য চাইমু। সবার অবস্থা আমার মতোই।’একের পর এক দুর্যোগকে নিয়তি হিসেবেই মেনে নিয়েছেন সদর উপজেলার বেড়াজালি গ্রামের কৃষক মন্তাজ আলী (৬০), শফিকুল হক (৫০) ও দুলাল মিয়া (৩৫)। শফিকুল হক বলেন, ‘কিতা খরতাম খইন। দুর্যোগ তো দেখি আমরার পিছন ছাড়ের না।’সুনামগঞ্জে গত এপ্রিল মাসে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে জেলার ১৫৪টি হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে যায়। জেলায় ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। সরকারি হিসাবে ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৯০টি কৃষক পরিবার। এর মধ্যে বিশেষ ভিজিএফের মাধ্যমে ত্রাণসহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে ১ লাখ ৬৮ হাজার পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই সহায়তার বাইরে আছে আরও ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯০টি পরিবার, যারা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। একই সময় কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ি। হাওরে কাঁচা ধান তলিয়ে পানিদূষণে মারা যায় ৫০ মেট্রিক টন মাছ। এখন বন্যার পানিতে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও ৬১২ হেক্টর জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে। এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি বলেন, হাওরে ফসলডুবি হয়েছিল পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে। তখন ওইভাবে বন্যা হয়নি। মানুষের ঘরে-রাস্তাঘাটে পানি ওঠেনি। বন্যা হয়েছে এখন। মানুষের ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাটের ক্ষতি হচ্ছে। ফসলহারা মানুষজন এখন মহা সংকটে পড়েছে। মানুষ কতটা সংকটে আছে, সেটা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না।‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী বলেন, হাওর এলাকার ফসলহারা মানুষ আর কত লড়াই করবে। একটার পর একটা দুর্যোগ আসছে তাদের সামনে। এখন বন্যা হওয়ায় মানুষের সংকট আরও প্রকট হলো। সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার মানুষের প্রতি সরকারের আরও বেশি করে দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। সরকারি সহায়তা বাড়ানো দরকার। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না।হাওরের ফসলহারা আরও ১ লাখ কৃষক পরিবারকে বিশেষ ভিজিএফের আওতায় আনার জন্য গত এপ্রিল মাসেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু সেটা হয়নি। এখন বন্যা হওয়ায় আবার একই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছি। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও সবাইকে নিয়ে কাজ করছি।’ | 332,736 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৭ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০২ | ০৭ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০২ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি | 0 | রকমারিতে পাঠ্যবই | http://www.prothom-alo.com/technology/article/53492 | অনলাইন বইয়ের দোকান রকমারি ডট কমে সৃজনশীল বইয়ের পাশাপাশি এখন থেকে পাওয়া যাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবই। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও প্রকৌশলের আসল বই কেনা যাবে এ ই-কমার্স সাইট থেকে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাঠ সহায়িকা, চাকরির প্রস্তুতিমূলক গাইড, সব ধরনের ইংরেজি কোর্সের বই পাওয়া যাচ্ছে এখানে। রকমারির ঠিকানা: www.rokomari.com। —বিজ্ঞপ্তি | 22,557 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ০২ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৪০ | ০২ নভেম্বর ২০১৬, ০৯:১২ | খাবারদাবার,অধুনা | 0 | গ্রিলড চিকেন নাকি ফ্রায়েড চিকেন | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1012305 | এখনকার তরুণদের অনেকটা সময় কাটে ফাস্টফুডের দোকানে। ফাস্টফুডের মধ্যে কারও প্রিয় গ্রিলড চিকেন, আবার কারও প্রিয় ফ্রায়েড চিকেন। অন্যদিকে, হালকা নাশতার জন্য ফ্রায়েড চিকেন বেশ চলে। চর্বি, কোলেস্টেরল, পটাশিয়াম ও ভিটামিন ‘এ’-এর উপস্থিতি আছে দুই পদের খাবারেই। আমিষের উৎস গ্রিলড চিকেন ও ফ্রায়েড চিকেনের মধ্যে কোনটি খাবেন? জানালেন পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো গ্রিলড চিকেন১. মাঝারি আকারের একটি গ্রিলড চিকেনে ১৪৭ ক্যালরি থাকে।২. গ্রিলড চিকেনে তেল অনেক কম ব্যবহার করা হয়।৩. কাঠ-কয়লায় পোড়ানো গ্রিল চিকেন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।৪. ফ্রায়েড চিকেন থেকে খাদ্যমানের দিক থেকে গ্রিলড চিকেন ভালো।ফ্রায়েড চিকেন১. তেলে ভাজার ফলে ফ্রায়েড চিকেনে ক্যালরি অনেক বেশি থাকে গ্রিল চিকেনের থেকেও বেশি।২. যাঁদের ওজন কম, তাঁরা ওজন বাড়ানোর জন্য বেশি বেশি ফ্রায়েড চিকেন খেতে পারেন।৩. তেলে ভাজার কারণে ফ্রায়েড চিকেনে ক্যালরি বেড়ে যায়।৪. আর যাঁরা স্বাস্থ্যবান, তাঁরা মাখা তেলে ফ্রায়েড চিকেন খেলে মোটা হবেন না।৫. হালকা তেলে ভাজা ফ্রায়েড চিকেন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। | 261,732 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:০৪ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:০৮ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,মোবাইল ফোন | null | বাঁকানো যাবে স্মার্টফোন | http://www.prothom-alo.com/technology/article/50449 | দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিকস এবার বাঁকানো যাবে এমন পর্দার স্মার্টফোন নিয়ে আসছে। আগামী মাসেই এ স্মার্টফোন বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। মূলত স্মার্টফোনের নকশায় নতুন কিছু যুক্ত করতেই এমন উদ্যোগ। উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে স্যামসাংয়ের গবেষকেরা এবার নতুন ধরনের এই স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসছেন। বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লড়াইয়ে প্রতিনিয়তই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে স্যামসাংকে। তাই কিছুটা ভিন্ন ধরনের স্মার্টফোন বাজারে এনে তাক লাগিয়ে দিতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঁকানো স্মার্টফোনের ব্যাপারে জানান স্যামসাংয়ের বিপণন পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ডি জে লি। এতে বেশ কিছু সুবিধাও পাওয়া যাবে। সহজেই ভাঁজ করা যাবে অথবা চাইলে কাগজের মতোই মুড়িয়ে রাখা যাবে স্মার্টফোনটিকে! হাতের মুঠোফোনকে যাতে ইচ্ছামতো রাখা যায় আবার ব্যবহারও করা যায়, সে চিন্তা থেকেই এমন উদ্যোগ। তবে বাঁকানোর প্রযুক্তি পর্দাযুক্ত যন্ত্র এবারই প্রথম নয়, এর আগে বাঁকানো পর্দার ৫৫ ইঞ্চি এলইডি টিভি এনেছে এলজি। নমনীয় পর্দার স্মার্টফোন বাজারে নতুন চমক সৃষ্টি করতে পারবে বলে আশাবাদী স্যামসাং। —বিবিসি | 19,689 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জুলাই ২০১৫, ০০:১৯ | ১৭ জুলাই ২০১৫, ০০:২১ | রাজধানী (জাতীয়),সরকার | 0 | বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে সমালোচনা করুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/579883 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সব ধরনের সমালোচনা করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের হাতে কলম রয়েছে, যা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত হবে না। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আপনাদের লেখনীতে দেশের অগ্রগতি থেমে না যায় এবং শত্রুরা সুযোগ না পায়।’প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে ১৭৭ জন দুস্থ সাংবাদিকের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সমালোচনায় ভয় পান না। বরং সমালোচনা তাঁকে ভালো-মন্দ বুঝতে সাহায্য করে। তবে দেশ ও জনগণের ক্ষতি করে এমন সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়। খবর বাসসের।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কমিউনিটির কল্যাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে সরকার ব্রডকাস্ট পলিসি-২০১৪ গঠন করেছে এবং অতি দ্রুত সময়ে ব্রডকাস্ট কমিশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হবে। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদে তথ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমত উল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও তথ্যসচিব মরতুজা আহমেদ। ছিলেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদকেরা।১৭৭ জনের মধ্যে ৬৩ জন সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট চেক সাংবাদিক ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট শাখা বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। অসুস্থ, অসচ্ছল ও আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রণীত নীতিমালার আওতায় গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে এ অনুদান দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের আর্থিক দুর্দশা বিবেচনা করে সরকার একটি স্থায়ী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা সত্ত্বেও তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জন্য এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি ট্রাস্ট কার্যক্রম চালুর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘সিড’ মানি দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তিনি ট্রাস্টে তহবিল সরবরাহের জন্য দানশীল ব্যক্তি এবং সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইয়ার পারচেস ভিত্তিতে সাংবাদিকদের মাঝে ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। | 153,560 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:১৪ | ০১ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:১৬ | রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন,রাজনীতি | 0 | বিএনপির মেয়র প্রার্থী পেলেন মাত্র ৯৯ ভোট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/727543 | রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভায় বিএনপি থেকে তিনি গতবার পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। এবারও বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এখানে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীও ছিলেন না। তবু তিনি ১০০টি ভোটও পাননি। বিএনপির এই প্রার্থীর নাম আলাউদ্দিন আলো।রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার অনুষ্ঠিত ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদ ৭ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী পান ৪ হাজার ৯৯৬ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন ২৬৬ ভোট। কিন্তু বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৯৯ ভোট।জানা গেছে, আলাউদ্দিন কেশরহাট পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০১১ সালের মেয়র নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে দুই হাজারের বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তাঁর শোচনীয় পরাজয়ের ব্যাপারে দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, তিনি গত নির্বাচনের পর গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করেননি। এলাকার উন্নয়নও করতে পারেননি। মানুষ কাজে ডাকলে বলতেন ভবিষ্যতে তিনি আর নির্বাচনই করবেন না।পৌর বিএনপির সভাপতি আবু হেনা কামরুজ্জামান বলেন, আলাউদ্দিন আলো তো নির্বাচনের মাঠেই ছিলেন না। গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। প্রচার-প্রচারণা চালাননি। দুই-একটি সভা করে হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় বিএনপির ভোট বেশি। কিন্তু বিএনপির এই প্রার্থী বিতর্কিত হয়ে গিয়েছিলেন। দলীয় কর্মসূচিতেও তেমন থাকতেন না। এসব কারণে দলের নেতা-কর্মীরা তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বিএনপির ভোট জামায়াত আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেছে।পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক উসমান আলী বলেন, নির্বাচনে বেশি প্রভাব ফেলেছে প্রার্থীর ব্যক্তিগত আচার-আচরণ। তিনি আর নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর দলীয় প্রতীক দেখে হঠাৎ করে প্রার্থী হন। তাই তিনি দলের লোকজনের ভোটও পাননি।জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কার্যত ভোটের দুই দিন আগেই আমাদের দলীয় প্রার্থী সরে গিয়েছিলেন। এ কারণেই বিএনপির ভোটাররা জামায়াত প্রার্থীকে সমর্থন দেন।’এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার আলাউদ্দিন আলোর মুঠোফোনে ফোন করা হয়। একবার তিনি ফোন ধরলেও কোনো কথা বলেননি। | 188,404 |
সত্যজিৎ ঘোষ, শরীয়তপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জুলাই ২০১৩, ০২:৫৬ | ১৫ জুলাই ২০১৩, ০২:৫৭ | শরীয়তপুর,বিশাল বাংলা,ঢাকা বিভাগ | 0 | সমবায়ের নামে ক্ষুদ্রঋণ ও ব্যাংকিং কার্যক্রম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/24408 | সমবায় সমিতির নিবন্ধন নিয়ে শরীয়তপুরে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ব্যাংকের আদলে সমিতিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদি আমানত জমা রাখছে। অধিক মুনাফার আশায় সমিতিগুলোতে আমানত রেখে অনেক গ্রাহক সর্বস্ব হারাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা ও আমানত জমা রাখায় গ্রাহকের কয়েক শ কোটি টাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।গত মে মাসে ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ফিউচার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে দুটি সমিতি গ্রাহকদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।জেলা সমবায় কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সমবায় সমিতির নিবন্ধন নিয়ে শরীয়তপুরে ১২০টি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে ব্যাংকের আদলে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে ডিপিএস আমানত, এককালীন আমানত, মাসিক মুনাফা আমানত, পেনশন স্কিমসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে। সমিতিগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমও চালাচ্ছে।জেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিধিমালা অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন ছাড়া কোনো সমিতি সদস্যদের কাছ থেকে আমানত ও ঋণ গ্রহণ করতে পারবে না। শরীয়তপুরে কোনো সমবায় সমিতি বার্ষিক সাধারণ সভা করে না। এদিকে সমিতির সদস্য ছাড়া আমানত সংগ্রহ না করার নির্দেশ থাকলেও তা অমান্য করা হচ্ছে।সূত্র আরও জানায়, জেলায় এক হাজার ৪৯২টি সমবায় সমিতির নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যে ১২০টি সমিতি অবৈধভাবে ব্যাংকের আদলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে ও আমানত সংগ্রহ করছে। সমিতিগুলো গ্রাহকের আমানতের টাকা দিয়ে কর্মকর্তাদের নামে জমি কিনছে। মূলধনের ২৫ শতাংশ হারে তফশিলভুক্ত ব্যাংকে জমা রাখার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।ম্যাক্সিমাম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি সমিতি অবৈধভাবে আমানত সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি ১২০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে চার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। প্রতি মাসে মুনাফা বাবদ গ্রাহকদের নয় লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের টাকা দিয়ে শরীয়তপুরে আসবাবের একটি দোকান, পোশাকের একটি দোকান ও ২৭ লাখ টাকা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে বিনিয়োগ করেছে। আমানতের টাকা ফেরত না দিয়েই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আত্মগোপন করতে পারেন, এমন আশঙ্কা গ্রাহকদের।সমবায় আইন ভঙ্গ করে সমাজ উন্নয়ন সমবায় সমিতি তিনটি শাখা খুলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। সমিতিটি প্রায় দুই হাজার গ্রাহকের মধ্যে দুই কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে বলে জানা গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নড়িয়া উপজেলার বৈশাখীপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রতি লাখে মাসিক দুই হাজার টাকা মুনাফা পাওয়ার শর্তে সমাজ উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে তিন লাখ টাকা আমানত রেখেছি। সম্প্রতি কয়েকটি সমিতি গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ আতঙ্কে টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন করছি। কিন্তু তারা টাকা ফেরত দিচ্ছে না।সদর উপজেলার সুবচনি গ্রামের আবদুস সালাম বলেন, ‘ম্যাক্সিমাম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে দেড় লাখ টাকা আমানত রেখেছি। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ জন্য আতঙ্কে দিন কাটছে।’ম্যাক্সিমাম বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, অনেক গ্রাহক টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন করেছেন। অনেকের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।সমাজ উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সমবায় আইন অনুযায়ী ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কয়েকটি সমিতি গ্রাহকদের টাকা নিয়ে চলে যাওয়ায় আমরাও চাপের মধ্যে আছি।’জেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বলেন, শরীয়তপুরে বেশ কিছু সমিতি নিয়মবহির্ভূতভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা অবৈধভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা ও গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করতে পারে না। সমিতিগুলোকে চিঠি দিয়ে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। | 2,544 |
আহমেদ মুনির | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৫, ০০:৩৮ | ২৯ নভেম্বর ২০১৫, ০০:৩৮ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | ক্যালিগুলা: ঘৃণার মধ্যে যার বসবাস | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/697189 | শুরু করা যাক শেষ দৃশ্য দিয়ে। রোমান সম্রাট ক্যালিগুলা তাঁরই প্রহরীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। মাটিতে পড়ে মৃত্যুর ঠিক আগে আঙুল উঁচিয়ে বলছেন, ‘আমি মরছি না, আমি বেঁচে থাকব।’আসলেই ক্যালিগুলা মরেননি। আর মরেননি বলেই পৃথিবীর নানা দেশেই আজও যুক্তিহীন নিষ্ঠুরতার কাছে পরাজিত হচ্ছে মানবতা। ১২ খ্রিষ্টাব্দের খেয়ালি এই রোমান সম্রাট তো সর্বকালের অন্ধকার জগতেরও রাজা। ফরাসি কথাসাহিত্যিক আলবেয়ার কামুর বিখ্যাত ক্যালিগুলা নাটক দেখে সে উপলব্ধিই সঞ্চারিত হয়।কামুর ইতিহাস আশ্রয়ী নাটক ক্যালিগুলার প্রথম মঞ্চায়ন হয়ে গেল ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে। অসীম দাশের নির্দেশনায় ফেইম স্কুল অব ডান্স অ্যান্ড ড্রামা দল মঞ্চে এনেছিল নাটকটি।ক্যালিগুলার মতো দুর্বোধ্য চরিত্র মঞ্চে হাজির করা সহজ নয়। তার ওপর ১৯৩৯ সালে রচিত ‘অ্যাবসার্ড’ ঘরানার এই নাটকের সব শর্ত পূরণ করাও দুরূহ। এখানেই শেষ নয়, সমসাময়িক কালের সঙ্গে ক্যালিগুলা চরিত্রটির সংযোগ স্থাপনও ছিল জরুরি। এই তিন ক্ষেত্রেই দক্ষতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে অসীম দাশের দল। পোশাকে পরিকল্পনা ও মঞ্চ সজ্জায় কালের সীমারেখা মুছে দেওয়া হয়েছে। কুশীলবদের পরানো হয়েছে আধুনিক নাগরিক পোশাক। তাতে রোম সাম্রাজ্যের একটা নির্দিষ্ট সময় যেন সমসাময়িক কালের ভেতর অনায়াসে ঢুকে পড়তে পেরেছে।বোন দ্রুসিলার মৃত্যুর পর সম্রাট ক্যালিগুলা আবিষ্কার করলেন মৃত্যুর কাছে সবাই সমান। ভালোবাসা কিংবা অনুকম্পা সহ্য হয় না তাঁর। অর্থহীন ক্রোধ আর ঘৃণার বিকারে ডুবে যান তিনি। নিজের পর্ষদ থেকে দরিদ্র প্রজা, রেহাই পায় না কেউ। জনগণকে পতিতালয়ে যেতে বাধ্য করার পাশাপাশি তাদের না খাইয়ে মারার জন্য শস্যাগার বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর স্নেহ ও কৃপা প্রার্থীদের তিনি ঘৃণা করতেন আর প্রশ্রয় দিতেন ষড়যন্ত্রকারীদের। শেষ পর্যন্ত নিজের প্রিয়ভাজন রক্ষীদের হাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।নাটকের ক্যালিগুলা ইতিহাসের সম্রাট ক্যালিগুলার চেয়ে দূরবর্তী নন। তবে আলবেয়ার কামুর লক্ষ্য ইতিহাসকে ধরে রাখা নয়, বরং নিষ্ঠুর ব্যক্তির মধ্যে যে শূন্যতা আর পাগলামি আছে, সেটাই তুলে ধরা। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় রচিত এই নাটক যেন হিটলারের মধ্যে ক্যালিগুলার পুনর্জন্মই দেখাতে চায়।ক্যালিগুলা চরিত্রে অসামান্য অভিনয় করেছেন তরুণ অভিনেতা মুবিদুর রহমান। ইডিপাস কিংবা নওকর শয়তান মালিক হয়রান নাটকেও মুখ্য চরিত্রে ছিলেন তিনি। এবার যেন নিজেকেই ছাপিয়ে গেলেন।নাটকের একটি দৃশ্যে তরুণ কবি স্কিপিও নিঃসঙ্গ ক্যালিগুলাকে প্রশ্ন করেছিল, ‘তোমার আশ্রয় কিসে?’ ক্যালিগুলার উত্তর, ‘ঘৃণায়’। আসলেই তা–ই। আজকের পৃথিবীতে ঘৃণার মধ্যেই তো ক্যালিগুলা বারবার জেগে ওঠে। নাটক শেষ হলে এই উপলব্ধি নিয়ে ফিরে আসি। | 178,873 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৬ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৬ | -1 | 0 | পরীক্ষা পেছাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/841579 | ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার কলেজ পর্যায়ের বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। এই পরীক্ষা হবে আগামী ১৩ মে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ৭ মে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা ৬ মে যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। | 224,213 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ জুন ২০১৫, ০২:৫৮ | ০২ জুন ২০১৫, ০২:৫৯ | বিশাল বাংলা,গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ | 0 | আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/543895 | গাজীপুরে ২৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম আবদুর রাজ্জাক (৩৫)। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া রুদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর বসতঘরের খাটের নিচে বস্তা থেকে ২৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজ্জাককে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।গাজীপুর প্রতিনিধি | 143,982 |
সাতকানিয়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৫২ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৫২ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1031183 | সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা শীর্ষক মতবিনিময় সভা গত ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিনের চট্টগ্রাম নগরের বাসভবনে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়াপাড়া ১ নম্বর সমাজের বাসিন্দা ও পৌরসভা এলাকার আশার আলো তরুণ একতা সংঘের কর্মীরা।সভায় সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মানুষ হত্যা ইসলাম ধর্মের কোথাও নেই। ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে যাঁরা নিজেদের তৈরি মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাঁরাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করছেন। এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।সভায় বক্তব্য দেন ভোয়ালিয়াপাড়া ১ নম্বর সমাজের বাসিন্দা কবির মো. জুয়েল, মোহাম্মদ মুছা সওদাগর, মোহাম্মদ রাশেদ, মোহাম্মদ রিদুয়ান, সৈয়দ আবদুল্লাহ ফিরোজ, সৌদি আরব প্রবাসী সৈয়দ মো. মোরশেদ. মোহাম্মদ এমরান, মো. আসাদ প্রমুখ। | 270,354 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০০:০১ | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০১:০১ | খবর,প্রতিষ্ঠানের খবর | 0 | ম্যাক্সিস সিএসটি বাংলাদেশ কনফারেন্স | http://www.prothom-alo.com/economy/article/952456 | রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সম্প্রতি ম্যাক্সিস সিএসটি বাংলাদেশ কনফারেন্স-২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যাক্সিস ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক বিক্রয় বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি হাং কো। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম হাফিজ, রাবার কোম্পানি চেং শিন রাবার (জিয়ামেন) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আন্তর্জাতিক বিক্রয় বিভাগের উপব্যবস্থাপক শিয়ে চি ওয়েন, ম্যাক্সিস সিএসটি আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান সোয়ান ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমজাদ খান, ব্র্যান্ড ম্যানেজার মেহজাবিন বাঁধন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি | 252,091 |
-1 | sports | খেলা | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০২:২৬ | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০২:২৭ | খেলা,অলিম্পিক | 0 | ক্ষমা চেয়েছেন লোক্টি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/953062 | নিজেরা একটা অপকর্ম করেছেন, পরে আবার বানিয়ে ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেছেন। রায়ান লোক্টিসহ যুক্তরাষ্ট্রের চার সাঁতারুর কেলেঙ্কারির নামই তাই হয়ে গেছে লোক্টি-গেট। লোক্টি অবস্থা বুঝে আগেভাগেই দেশে ফিরে যান, কিন্তু বাকি তিনজনকে আটক করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁদেরও ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। লোক্টিও কাল এই কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, ‘আমি ব্যাপারটা ঠিকমতো সামলাতে পারিনি, আরও বেশি দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল। আমি সতীর্থ, ভক্ত, পৃষ্ঠপোষক ও আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠে গেছে, শুধু ক্ষমা চেয়েই কি পার অলিম্পিকজয়ী সাঁতারু? সিএনএন দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক কমিটি লোক্টিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। নিষেধাজ্ঞা কত সময়ের জন্য, সেটা অবশ্য বলা যাচ্ছে না। ঘোষণাটা আসতে পারে পরের সপ্তাহেই। রয়টার্স। | 251,834 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ০১:২৯ | ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩০ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | আমিনুলকে ছাড়াতে পারেননি কেউ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1006923 | সাব্বির রহমানের টেস্ট অভিষেকে ফিফটির আনন্দ গিয়ে মিশল হারের কষ্টে। বাংলাদেশের ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে পঞ্চাশ পেরোলেন এই অলরাউন্ডার। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮৩ রান করেছেন সাব্বির। টেস্ট অভিষেকে তাঁর চেয়ে বেশি রান করেছেন মাত্র ৮ জন বাংলাদেশি। অভিষেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংসটি আমিনুল ইসলামের। ১৬ বছর পরও তাঁর ১৪৫ রান ছুঁতে পারেননি কেউ। তেমনি দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর করা ১৫১ রানও থেকে গেছে নাগালের বাইরে। তবে অভিষেকের সেরা ইনিংস কিংবা সর্বোচ্চ রানের ধারেকাছেও যেতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। ১৯০৩ সালে অভিষেকে ২৮৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন টিপ ফস্টার। তবে টেস্ট অভিষেকে ৩১৪ রান (২১৪ ও ১০০*) করে সবচেয়ে এগিয়ে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান লরেন্স রো।অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান১৫১১৪৫ ও ৬আমিনুল ইসলামপ্রতিপক্ষ/ভেন্যুভারতঢাকা২০০০১৪৭৬২ ও ৮৫*জাভেদ ওমরজিম্বাবুয়েবুলাওয়ে২০০১১৪০২৬ ও ১১৪মোহাম্মদ আশরাফুলশ্রীলঙ্কাকলম্বো২০০১১৩৭৫৩ ও ৮৪তামিম ইকবালনিউজিল্যান্ডডানেডিন২০০৮১২০১১৩ ও ৭*ওয়েস্ট ইন্ডিজখুলনা২০১২ | 259,116 |
অনলাইন ডেস্ক | life-style | জীবনযাপন | ৩১ জুলাই ২০১৪, ১৫:৩২ | ৩১ জুলাই ২০১৪, ১৮:৫২ | পরামর্শ | null | দুঃসময় পাড়ি দিতে | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/279787 | দুঃসময় যাচ্ছে? জীবনে যখন দুঃসময় আসে তখন সবকিছুই যেন কঠিন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কঠিন এ সময়ে ইতিবাচক থাকা চাই। দুঃসময়ে ইতিবাচক থাকতে যে পরামর্শগুলো কাজে লাগতে পারে তা নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।চাই ইতিবাচক মানুষের সাহচর্যদুঃসময়ে আপনার পাশে ইতিবাচক মানুষ থাকা প্রয়োজন। ইতিবাচক মানুষের সংস্পর্শে থাকলে তাঁরা আপনার কঠিন সময় পাড়ি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নেতিবাচক কোনো বিষয় নিয়ে যখন ভেঙে পড়বেন তখনই এই মানুষগুলো আপনার পাশে ইতিবাচক আশা নিয়ে দাঁড়াবে। দুঃসময়ে নেতিবাচক মানুষকে এড়িয়ে চলুন। আপনার জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলতে তাঁরা, মনের স্পৃহা নষ্ট করে দেবে। নিজেকে অর্থহীন করে তুলবে এই নেতিবাচক মানুষেরা। অন্যদিকে ইতিবাচক মানুষের সংস্পর্শে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোর দিকেই আপনার বেশি নজর পড়বে, নতুন আশা খুঁজে পাবেন, নতুন সম্ভাবনা দেখবেন।যা নেই তা নিয়ে বিলাপ নয়এ সময় নিজের যা কিছু আছে তা আনন্দচিত্তে উপভোগ করুন, মনে রাখবেন যা নেই তা নিয়ে বিলাপ করা সহজ। যা নেই তা নিয়ে ভাবার চেয়ে যা আছে তা নিয়েই বেশি ভাবুন। দৃষ্টিভঙ্গিতে সামান্য পরিবর্তন আনুন। আমরা কঠিন সময় যখন পার করি তখন অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ থাকা, চাকরিতে বহাল থাকা এবং যাঁরা দুঃখে আনন্দে পাশে থাকে এ এমন প্রিয় মানুষ বা বিষয়কে মূল্যায়ন করি না। এই বিষয়গুলোকে আশীর্বাদ মনে করুন।কৃতজ্ঞ থাকুনকৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রশিক্ষণ নিন। প্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। যে বিষয়গুলোর জন্য আপনি ভালো সময় কাটাতে পারেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।অলসতা নয় একেবারে শুয়ে বসে অলস সময় কাটাবেন না। হেঁটে চলে বেড়ান। কোথাও ঘুরে আসুন। ব্যায়াম করুন। হালকা ব্যায়াম করলে শরীরে এনডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয় যা মন ভালো করে দিতে পারে। ব্যায়াম করলে মানসিক প্রশান্তিও মিলতে পারে। বাগান বা পার্ক থেকে একটু হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন। মন ভালো করে দেওয়ার জন্য প্রকৃতির নিজস্ব ক্ষমতা আছে। নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখুন।বাজার করতে পারেনকেনাকাটা করতে পারেন। ফোনে কোনো কিছু অর্ডার করার চেয়ে আশেপাশের কোনো মুদি দোকানে যান বা একটু হেঁটে চলে বাজার করুন। মন ভালো হতে পারে।ধ্যান করতে পারেনসময় সুযোগ পেলে একটু-আধটু মেডিটেশন করে নিতে পারেন। জীবনের কঠিন সময় যখন যাচ্ছে তখন একটু মেডিটেশন বা ধ্যান করলে ইতিবাচক ফল পেতে পারেন।কী করবেন তার তালিকা তৈরি করুনপ্রতিদিন কী কী করতে চান, প্রতি মাসে কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান বা কী কাজ করতে চান, বছর শেষে কী করতে চান তার তালিকা করে লিখে রাখুন। মনের মধ্যে সেই ছবিটা আঁঁকুন আর সেই লক্ষ্য অর্জনে কতটা এগোলেন তা ভেবে দেখুন।অন্যদের দেখুননিজের দুঃসময়ের চিত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে মনটাকে অন্যদিকে যেতে পারেন। অন্যদের সাহায্য করুন। মানুষের পাশে দাঁড়ান। মন ভালো করা ও আত্ম উদ্যম বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো পন্থা হচ্ছে নিজের ওপর থেকে ফোকাস সরিয়ে অন্যের ওপর না নিবদ্ধ করা। প্রতিদিন অন্যের উপকারে তত্ক্ষণাত্ ফলে আশা বাদ দিয়ে অন্তত পাঁচটি কাজ করুন। মনে রাখুন, যা আপনি দেবেন তা ফেরতও পাবেন।ভাষা ঠিক রাখুননেতিবাচক ভাষা ব্যবহারে এবং নেতিবাচক বার্তা বিনিময়েও সতর্ক থাকুন। মন মেজাজ ঠিক না থাকলেও কারও ওপর চটে খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন না। কর্মস্থল বা ব্যক্তিগত জীবনে আপনার ভাষা প্রয়োগের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সবার সঙ্গে ইতিবাচক থাকুন।নিজের আদর্শকে জানুননিজেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় কখন দেখেছেন সে অবস্থার চিত্র মনে আঁঁকুন। নিজের এই আদর্শের জায়গায় আবার আপনাকে যেতে হলে কী কী করতে হবে তা ঠিক করে নিন এবং কাজ শুরু করুন। দেখবেন দুঃসময় পেছনে ফেলে তরতর করে এগিয়ে গেছেন।নিজের সৃজনশীলতা দেখানআপনি হয়তো ছবি আঁঁকতে পারেন, কবিতা লিখতে পারেন কিংবা পারেন কোনো সৃজনশীল কাজ করতে। এই প্রতিভা আপনার দীর্ঘদিন অব্যবহূত হয়ে ছিল। দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে সৃজনশীল কাজগুলো করতে পারেন। এতে মন ভালো ও ইতিবাচক হবে।ব্যর্থতার ভয় দূর করুনমনে রাখবেন ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’। মনের বাঘে আপনাকে যেন শেষ করে না দেয়। ব্যর্থতার ভয়কে জয় করুন। মনে রাখবেন, ব্যর্থ হওয়ার ভয় পেলে সামনে এগোতে পারবেন না। জীবনে ব্যর্থতা ছাড়া সামনে এগোনো যায় না। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন। কেন ব্যর্থ হচ্ছেন তা খুঁজে দেখুন এবং সামনে এগিয়ে যান। সফল হবেন।বর্তমান নিয়ে ভাবুনঅতীতের বেদনা কিংবা ভবিষ্যতের দুর্ভাবনা আপনার মাথায় যেন না ঢুকতে পারে। বর্তমান নিয়ে খুশি থাকুন। বর্তমান জীবনের দিকে ইতিবাচকভাবে তাকান এবং কর্মোদ্যমী হন। অন্যদের সঙ্গে জীবনের আনন্দ ভাগাভাগি করুন। হাসুন।নিজেকে রিচার্জ করুনআপনার যদি জীবন-স্পৃহা ঠিক না থাকে ইতিবাচক হবেন কি করে? নিজেকে রিচার্জ করুন। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট কোথাও একটু নিরিবিলি বসুন ফোন, ল্যাপটপ, চিন্তা-ভাবনা বন্ধ করে। চেয়ারে কিংবা কোথাও বসে শরীরটাকে শিথিল করে একটু চোখ মেলে চারপাশটাকে দেখুন। নিজেকে এভাবে রিচার্জ করে নিতে পারেন। | 81,600 |
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৩৩ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৩৪ | কক্সবাজার,টেকনাফ,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ | 0 | নাফ নদীতে রোহিঙ্গার লাশ! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1073481 | কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, লাশটি কোনো রোহিঙ্গার হতে পারে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের জেটি ঘাট এলাকায় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে পুলিশ। তাঁর পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, নাফ নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।এসআই আবদুর রহিম বলেন, লাশটিতে পচন ধরে ফুলে উঠেছে। এটি কার লাশ, তা শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্তত তিন-চার দিন আগের মরদেহ এটি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি কোনো রোহিঙ্গার লাশ। কারণ গত কয়েক দিনে টেকনাফের কোথাও কোনো নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেনি।ওসি মো. আবদুল মজিদ বলেন, এই ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। | 289,712 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ২১:৫২ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ২১:৫৩ | -1 | 0 | ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় জামদানি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/90100 | বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি ইউনেসকোর আওতাধীন বিশ্ব মানবতার অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বমূলক তালিকায় স্থান পেয়েছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু শহরে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিটির অষ্টম বৈঠকে আজ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কমিটি বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া ৩১টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে ২৩টি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং আটটি প্রস্তাব নাকচ করে। বাংলাদেশের ‘ঐতিহ্যবাহী জামদানি বুনন শিল্প’ শীর্ষক প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনু বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ।স্মরণাতীতকাল থেকে চলে আসা অলিখিত রীতি-ঐতিহ্য, নাচ-গান-বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের ললিত কলা, সামাজিক রেওয়াজ, আচার-অনুষ্ঠান ও উত্সব, প্রকৃতি সম্পর্কিত লোকজ জ্ঞান, ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সামগ্রী প্রস্তুতির জ্ঞান ও দক্ষতা ইত্যাদি বিষয় অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত।এর আগে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বাউল সংগীত মানবতার অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বমূলক তালিকায় স্থান পায়।বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইউনেসকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, জামদানি বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মাহমুদ এবং বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন এই আন্তর্জাতিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনটি আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। | 32,800 |
-1 | sports | খেলা | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:২৭ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:২৯ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | সিটির মাঠে আর্সেনালের পরীক্ষা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/98599 | ইউরোপ থেকে দুই রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছে দুই দল। উড়তে থাকা বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের মাঠেই হারিয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে নেপলস থেকে হেরে ফিরেছে আর্সেনাল।অভিজ্ঞতা দুই রকম হলেও একটা জায়গায় আবার মিল আছে দুই দলেরই। নিজে নিজ গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে জায়গা পেয়েছে ম্যান সিটি ও আর্সেনাল। লিগের পয়েন্ট তালিকায় চোখে ফেরালে অবশ্য ইউরোপের সেই মিলের বদলে চোখে পড়বে দুই দলের ব্যবধান। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে চারে থাকা সিটি। ইস্টল্যান্ডে আজ হেরে গেলে এই ব্যবধান বেড়ে যাবে আরও, শিরোপা লড়াইয়ে পিছিয়ে যাবে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। সেটা চাইছেন না বলেই আর্সেনালের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে সিটি ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেতার কাছে, ‘এই মৌসুমে ওরা (আর্সেনাল) এখন পর্যন্ত বেশ ধারাবাহিক। সে কারণেই ওরা শীর্ষে। কিন্তু আমরা নিজের মাঠে খেলব, যেখানে আমাদের রেকর্ড খুব ভালো। ব্যবধান কমানোর জন্য আমাদের তিনটি পয়েন্ট লাগবেই।’ সিটির ব্যবধান কমিয়ে আনার লক্ষ্য থাকবে বলেই ম্যাচটা নিয়ে খুব সতর্ক আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারও, ‘ওদের ওপর খুব চাপ থাকবে যাতে দুই দলের মধ্যে ৯ পয়েন্টের ব্যবধান না হয়ে যায়। তবে আমাদেরও বিশ্বাস আছে নিজেদের ওপর।’ সিটি-আর্সেনাল মহারণের দিন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শিরোপাপ্রত্যাশী আরেক দল চেলসির প্রতিপক্ষ পয়েন্ট তালিকার নিচের দিক থেকে দুই নম্বরে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেস।একই রাতে স্প্যানিশ লিগে মাঠে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে উঠে দুই দলই আছে ফুরফুরে মেজাজে। সর্বশেষ ম্যাচে সেল্টিকের সঙ্গে ৬-১ গোলের বিশাল জয়টাকে বার্সা কোচ জেরার্ডো মার্টিনোও দেখছেন তাঁর অধীনে দলের সেরা পারফরম্যান্স হিসেবে। লিগে সর্বশেষ ম্যাচে বিলবাওয়ের কাছে হারের স্মৃতিটা ভুলতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে আজও এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স চান মার্টিনো, ‘আমি আশা করছি ছেলেরা ওদের সেরাটাই দেখাবে।’বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকোর চেয়ে লিগে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ফর্মে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার কাছে হারের পর এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২৪ গোল দিয়েছে রিয়াল। এর ২১টিই করেছেন কার্লো আনচেলত্তির আক্রমণভাগের তিন খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেল আর করিম বেনজেমা।পয়েন্ট তালিকায় ১৬ নম্বরে থাকা ওসাসুনাকে নিয়ে আজ তাই খুব বেশি ভাবার দরকার নেই রিয়াল মাদ্রিদের! এটা যাঁরা ভাবছেন তাঁদের জন্য তথ্য—সর্বশেষ পাঁচ সাক্ষাতে ওসাসুনার মাঠ থেকে মাত্র একবার জয় নিয়ে ফিরতে পেরেছে রিয়াল। মাস দুয়েক আগে এই ওসাসুনাই ড্র করে পয়েন্ট নিয়েছে বার্সেলোনার কাছ থেকে। এএফপি। | 35,552 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২১ | ১২ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২১ | মহানগর,আইন ও বিচার,চট্টগ্রাম | 0 | সাড়ে ৯ টন জাটকা উদ্ধার, ৮ জনের দণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/827443 | চট্টগ্রাম নগরের ফিশারিঘাটে অভিযান চালিয়ে সাড়ে নয় টন জাটকা উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে জাটকা ধরা ও সংরক্ষণের অপরাধে তিনজনকে কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে মোট ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় র্যাবের সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান ও মো. আমিরুল্লাহ, মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ফিশারিঘাটের নয়টি কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার জাটকা উদ্ধার করা হয়েছে। জাটকা ধরা ও সংরক্ষণের অপরাধে তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পরে জব্দ করা জাটকা ৫০টি এতিমখানা ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।অভিযানে দুটি হিমাগারের মালিক মোহাম্মদ হাবিবকে দেড় বছর, হিমাগার মালিক মো. শাহেদুজ্জামানকে এক মাস এবং ব্যবস্থাপক নয়ন দাসকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। | 219,597 |
নীলফামারী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ মার্চ ২০১৫, ০০:৩৩ | ২৮ মার্চ ২০১৫, ০০:৩৪ | নীলফামারী,বিশাল বাংলা,রংপুর বিভাগ,দুর্ঘটনা | 0 | নীলফামারীতে অগ্নিকাণ্ডে সাতটি ঘর ভস্মীভূত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/487966 | নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামে গতকাল শুক্রবার ভোরে আগুন লেগে সাতটি ঘর পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে একটি গরু ও তিনটি ছাগল। এ ছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে বাবা-ছেলে দুজনই আহত হয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের সমসের আলীর (৫৫) বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে গতকাল ভোর চারটার দিকে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত তা পাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। পাশের বাড়িটি ছিল সমসের আলীর ছেলে মেহেরুল আলীর (২৬)। আগুন নেভাতে গিয়ে বাবা-ছেলে দুজনই আহত হন। তাঁদের ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ডোমার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে দুই পরিবারের সাতটি ঘর আসবাবপত্রসহ পুড়ে যায়। মারা যায় একটি গরু ও তিনটি ছাগল।ডোমার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ভূপেন্দ্র নাথ বর্মণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জলঢাকা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস না থাকায় ডোমার থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাবা-ছেলের পরিবারের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। | 126,710 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৫, ১৭:৫৫ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৫, ১৭:৫৫ | অপরাধ | null | সাংবাদিকের মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/438520 | দৈনিক ইত্তেফাক–এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আখতার-উল-আলমের মেয়ে ফাহমিদা আখতারের (৪৫) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রামপুরার মহানগর প্রকল্পের ৫ নম্বর সড়কের ১০৫ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের দিকে ফাহমিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান তরফদার জানান, ফাহমিদা রামপুরার এই ফ্ল্যাটে একা থাকতেন। আজ সকালে বাড়ির গৃহকর্মী এসে দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। তিনি ঘরে ঢুকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফাহমিদার লাশটি দেখতে পান। পরে পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশটি মেঝের ওপর পড়ে ছিল। পুলিশ বলেছে, ফাহমিদাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়েছে।এ ঘটনায় রামপুরা থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ফাহমিদা আলমের ভাই রেজোয়ানুল আলম।ফাহমিদা আখতারের ভাই রেজোয়ানুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ফাহমিদা আখতার আইন পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর স্বামী গোলাম রব্বানী বাহরাইনে চাকরি করেন। একমাত্র ২০ বছর বয়সী ছেলে সিরাতুল মোস্তফা যুক্তরাষ্ট্র পড়াশোনা করেন। বুধবার রাতে বোনের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। ঘটনার পর ফ্ল্যাটের মূল্যবান কোনো কিছু নিয়ে যায়নি হত্যাকারীরা। তবে কাগজপত্র এলোমেলো ছিল। তাই কেন এ ঘটনা ঘটল, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। | 111,025 |
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ জুন ২০১৬, ০২:১৪ | ০১ জুন ২০১৬, ০২:১৫ | মুন্সিগঞ্জ,রাজধানীর চারপাশ,অপরাধ | 0 | টঙ্গিবাড়ীতে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে জখম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/874912 | মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কাঠাদিয়া গ্রামে বসতঘরে সিঁধ কেটে মুক্তা বেগম (৪৫) ও তাঁর মেয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারকে (২০) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মা ও মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার ভোরে দুর্বৃত্তরা শাহাজাহান দেওয়ানের বসতঘরে সিঁধ কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা তাঁর স্ত্রী মুক্তা বেগম ও মেয়ে শারমিনকে অতর্কিতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, প্রেমসংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। | 228,021 |
রাজীব আহমেদ, ঢাকা | economy | অর্থনীতি | ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৪:০৬ | ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৪:২০ | -1 | 0 | নিরীক্ষা মানে সেরা এপেক্স | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1555529 | এলডব্লিউজি স্বীকৃত ট্যানারিবৈশ্বিক সংস্থা এলডব্লিউজির মান সনদ পেয়েছে শুধু এপেক্স।এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম।চামড়া খাতের বৈশ্বিক সংস্থা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) নিরীক্ষিত কারখানার সংখ্যা বাংলাদেশে মাত্র একটি। ২০১৫ সালে এপেক্স ফুটওয়্যারের ট্যানারি ইউনিট এলডব্লিউজির নিরীক্ষায় সেরা মান অর্থাৎ গোল্ড কারখানার মর্যাদা পায়। এখন পর্যন্ত অ্যাপেক্স ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো কারখানা এলডব্লিউজির সনদ পায়নি।অবশ্য এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে চামড়া খাতের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলো। বিশ্বে মোট ৪৩০টি ট্যানারি ও চামড়াজাত পণ্যের কারখানা এলডব্লিউজির নিরীক্ষা সনদ পেয়েছে। যার মধ্যে চীনের ৭৫টি, ভারতের ১০৫টি, ব্রাজিলের ৬৩টি, ইতালির ২৬টি ও ভিয়েতনামের ১৪টি। এমনকি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানেরও তিনটি কারখানা এলডব্লিউজির মানসনদ পেয়েছে। চামড়া খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের বড় ব্র্যান্ডগুলোর কাছে ভালো দামে চামড়াজাত পণ্য বিক্রি করতে হলে এলডব্লিউজির সনদ জরুরি। পোশাক খাতে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সনদ পোশাক কারখানাকে ক্রয়াদেশ ও ভালো দাম পেতে সহায়তা করে, তেমনি চামড়া খাতেও এলডব্লিউজির সনদ ভালো বৈশ্বিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য জরুরি।চামড়া খাতের উদ্যোক্তাদের মতে, বাংলাদেশ মূলত এমন বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে, যেখানে ব্র্যান্ড মূল্য নেই। ফলে এ দেশের রপ্তানিকারকেরা পণ্যের দাম কম পান।জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন আমরা যে জুতা ১৫ মার্কিন ডলারে বিক্রি করছি, ভালো ব্র্যান্ডের ক্রেতার কাছে তার দাম ২৫-৩০ ডলার পাওয়া যাবে। এতে পরিমাণ একই থাকলেও রপ্তানি আয় অনেক বেড়ে যাবে। অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো ব্র্যান্ডের ক্রেতা পাওয়া কঠিন।’দেশের ট্যানারিগুলো ঢাকার হাজারীবাগে থাকার সময় পরিবেশদূষণের দায়ে ভালো ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারত না। ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সাভারে চামড়া শিল্পনগর প্রতিষ্ঠার পর এখন সেখানেও নদীদূষণের অভিযোগ উঠছে। সাভারে প্রায় ৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি। এই সিইটিপি দিয়ে এলডব্লিউজির সনদ পাওয়া যাবে বলে আশাও করছেন না উদ্যোক্তারা। এ জন্য এপেক্স ও বে ট্যানারি আলাদা সিইটিপি নির্মাণে সরকারের কাছে আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।জানতে চাইলে বে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাভারের সিইটিপি দেখাতে আমরা এলডব্লিউজির প্রতিনিধিদের নিয়ে এসেছিলাম। তারা দেখে বলেছে, সিইটিপি পুরোপুরি অকার্যকর। এরপর আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বলেছি, বড় ট্যানারিগুলোকে নিজেদের সিইটিপি নির্মাণের অনুমতি দিতে, নইলে চামড়া খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে না।’এলডব্লিউজির সদস্য ৬৬টি বড় ব্র্যান্ড২০০৫ সালে নাইকি, অ্যাডিডাস, টিম্বারল্যান্ডের মতো কয়েকটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও পাদুকা উৎপাদকেরা মিলে এলডব্লিউজি গঠন করে। পরিবেশ সুরক্ষা করে কীভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করা যায়, তা নিশ্চিত করাই সংস্থাটির লক্ষ্য। এলডব্লিউজির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সংস্থাটি কারখানা নিরীক্ষার জন্য সাধারণ একটি মান কাঠামো তৈরি করে। সে অনুযায়ী নিরীক্ষা করে কারখানাগুলোকে গোল্ড, সিলভার, ব্রোঞ্জ ও সাধারণ কারখানায় শ্রেণিভুক্ত করে। কারখানা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিকর রাসায়নিক বা অন্যান্য উপাদানের ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য পরিশোধন, কাঁচামালের উৎস, জ্বালানি ও পানির ব্যবহার ইত্যাদি নানা বিষয় খতিয়ে দেখে।বিশ্বের ৬৬টি বড় বড় ব্র্যান্ড এলডব্লিউজির সদস্য। এ তালিকায় রয়েছে অ্যাডিডাস, নাইকি, আলদি, ক্লার্কস, কোচ, বাটা, কোল হ্যান, ডায়েচম্যান, ডেকার, এইচঅ্যান্ডএম, এইলিন ফিশার, আইকিয়া, টিম্বারল্যান্ড, টমি হিলফিগার প্রভৃতি ব্র্যান্ড। জানতে চাইলে এপেক্স ফুটওয়্যারের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) ম্যানেজার মো. ফিরোজ আলম তালুকদার বলেন, এসব বড় ব্র্যান্ডের কাছে পণ্য বিক্রি করতে এলডব্লিউজির নিরীক্ষিত ট্যানারি থেকে চামড়া কিনতে হয়।অন্যদের বাড়ছে, বাংলাদেশের কমছেসর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের চামড়া খাতের সার্বিক রপ্তানি আয় কমেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে বৃদ্ধির প্রবণতার পর গত বছরই এ খাতে রপ্তানি আয় কমল। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় হয় ১০৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১২ শতাংশ কম।বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমলেও বাড়ছে ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তানের। ভিয়েতনামের ভেনডটকম নামের একটি অনলাইন পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ভিয়েতনাম চামড়া ও পাদুকা রপ্তানি করে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায় ৬ আগস্ট প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, দেশটির কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টার্স (সিএলই) আগামী ছয় বছরে রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য ঠিক করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চামড়া খাতে ভারতের রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৭৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ৯ কোটি ডলার বেশি। পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত মে পর্যন্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১ মাসে দেশটি চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ৪৮ কোটি ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। | 375,151 |
মোছাব্বের হোসেন | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৩৪ | ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:০২ | -1 | null | এই ৬০০০ নিয়োগের নিয়তি কী? | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1355941 | নিয়োগ জটিলতা থাকায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ও বিচারাধীন রয়েছে—এমন রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি ব্যাংকের ছয় হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগ আটকে আছে।ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি নিয়ে মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকায় তাদের হাত-পা বাঁধা, এখানে কিছু করার নেই। নিয়োগপ্রার্থীরা বলছেন, তাঁরা অনেক অপেক্ষা করেছেন। বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে ব্যাংকের চূড়ান্ত নিয়োগ হওয়া একান্ত জরুরি।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংকে সমন্বিত নিয়োগ পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) গঠিত হয়। এরপর সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে ৬৮৬ জন, অফিসার পদে ৮১০ জন, অফিসার (ক্যাশ) পদে ৭৪৮ জন, জনতা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে ৮৩৪ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ পদে ৪৬৪ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ (টেলর) পদে ৫৩৬ জন এবং রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে ৪২৩ জন, অফিসার পদে ৭৩৬ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। মোট ৫ হাজার ২৩৭টি পদের নিয়োগ এখন আদালতে বিচারাধীন। এটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সুরাহা হয়নি।এ ছাড়া বিএসসি গঠনের আগে জনতা ব্যাংকের ২০১৪ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ পদে ১৫৪ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ (টেলর) ৪৯৪ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। একই বছর সোনালী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) ৭২৫, অফিসার পদে ৫৪৭ এবং সিনিয়র অফিসার ৪৩৫ জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। সোনালী ব্যাংকের এই তিন পদে মোট ১ হাজার ৭০৭ জনের নিয়োগের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগোয়। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ২১ জুন সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার ৪৩৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। রূপালি ব্যাংকে ২০১৩ সালে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে সেখানে পদের সংখ্যা লেখা ছিল না। নিয়োগ জটিলতা থাকার কারণে এই তিনটি ব্যাংকের নিয়োগ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) প্রধান মোশাররফ হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটকে থাকা ব্যাংকের নিয়োগ নিয়ে আমাদের কোনো মতামত নেই। কেননা, আমরা আদালতের আদেশের বাইরে যেতে পারি না। তবে চাই এসব সমস্যার সমাধান হোক। ব্যাংকে নিয়োগ হলে জনবল-সংকট হবে না। ব্যাংকের কাজে গতি আসবে।’যাঁরা ব্যাংকের নিয়োগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তাঁরা সবাই কোনো না কোনো নিয়োগে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় পাস করেছিলেন। তাঁদের চূড়ান্ত নিয়োগ না দিয়ে বঞ্চিত করা হচ্ছে—এমন অভিযোগে এনে নতুন নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন।ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংকগুলো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর একটি বঞ্চিতপক্ষের প্রার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। তাঁরা ২০১৪ সাল বা তার পরে কোনো না কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মামলার কারণে নতুন নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। নতুন নিয়োগ না হওয়ার কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকগুলোয় জনবল-সংকট দেখা দিয়েছে।মৌখিক পরীক্ষার পর নিয়োগ আটকে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে তিন বছর পার হয়ে গেছে। প্রার্থীদের ৮০ শতাংশের চাকরির বয়সও চলে গেছে। নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীদের দাবি, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যেন ২০১৬ সালের সার্কুলারের সব নিয়োগ সম্পন্ন করে, যাতে ২০১৭ সালের সমন্বিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করে।নিয়োগ আটকে থাকা একাধিক প্রার্থী প্রথম আলোকে জানান, তাঁদের চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে, কিন্তু ব্যাংকগুলো আটকে থাকা নিয়োগের বিষয়ে কিছু করতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যেহেতু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় আগের নিয়োগের সমাধান করেনি, তাই ওই ব্যাংকগুলোয় নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেই সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে নিয়োগ বন্ধ করে দেন। তাই তাঁদের আগের পুরোনো সমস্যা সমাধান করতে হবে। না হলে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তাঁদের একজন নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ তবে এ নিয়োগসংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধান চান তিনি। | 343,103 |
রোজিনা ইসলাম, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ মে ২০১৯, ১২:৪৮ | ০৮ জুন ২০১৯, ১৩:২৯ | সরকার,মুক্তিযুদ্ধ,রাজধানী,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ,পুলিশ,দখল,উচ্ছেদ | null | দখলদার উচ্ছেদে ফোর্স দেয় না পুলিশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1596011 | প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকার পরও পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার থেকে অমুক্তিযোদ্ধা ও দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পারছে না মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। খোদ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অসহযোগিতার অভিযোগ এনে বলেছে, পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে ফোর্স দিতে অস্বীকার করেছে। তারা সরকারের ও আদালতের আদেশ অমান্য করছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট জবাব চাইবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।ঢাকার মোহাম্মদপুরে গজনবী রোডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আবাসিক ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য এই টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা এই ভবনের দেখভাল করছেন।কল্যাণ ট্রাস্টের তদন্তে বের হয়ে এসেছে, টাওয়ারের ফ্ল্যাট ও দোকান মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট যাঁদের বরাদ্দ দিয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা নন। ভবনটিতে ৮৪টি ফ্ল্যাট ও ৭৪টি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি ফ্ল্যাট জোরপূর্বক দখলে রেখেছেন ১২ ব্যক্তি। তাঁরা একটি করে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন। আরও একটি করে নিজেদের দখলে রেখেছেন। অনেকে আছেন অমুক্তিযোদ্ধা, অনেকে যুদ্ধাহত নন। আবার বরাদ্দপ্রাপ্তদের ১০ জন সরকারের কাছ থেকে অন্য জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি নিয়েছেন। গত পাঁচ বছরে ৩৩ জনকে এবং গত সেপ্টেম্বরে ২০ জনকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়।জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ফ্ল্যাট ও দোকান অবৈধভাবে দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত করে যাঁরা অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখল করে রেখেছেন, তাঁদের উচ্ছেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুলিশ কেন সহযোগিতা করতে চাইছে না, বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করব।’মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বলেন, ভবনের (টাওয়ার) দখলদার, অমুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত নন, এমন ব্যক্তিদের দফায় দফায় চিঠি দিলেও তাঁরা ফ্ল্যাট ছাড়ছেন না। ফলে প্রকৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা ফ্ল্যাটে উঠতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব তোফাজ্জল মিয়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিবকে চিঠি পাঠান।দখলদার উচ্ছেদের জন্য ফোর্স চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদ দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী হাকিমকে গত ২৩ এপ্রিল চিঠি দিয়ে জানান, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট তাঁদের ১ হাজার ১২২ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের ৮৫০ বর্গফুট দিয়েছে। তাই তাঁরা অবশিষ্ট অংশ বুঝে পেতে আরেকটি ফ্ল্যাট দখলে রেখেছেন। এ নিয়ে একটি রিট মামলা রয়েছে। এ ছাড়া দখল কার্যক্রম চালানো হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। একই মতামত জানিয়ে ২৪ এপ্রিল চিঠি পাঠান ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম।মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার ভবনটিতে ৮৪টি ফ্ল্যাট ও ৭৪টি দোকান রয়েছে এর মধ্যে ১২টি ফ্ল্যাট দখল করে রাখা দখলকারীদের উচ্ছেদ করা যাচ্ছে নাপুলিশের এমন চিঠিতে বিস্মিত হন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ট্রাস্টের কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, পুলিশের কাজ সরকারকে সহযোগিতা করা। তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ৭ মে চিঠি দিয়ে জানান, ১ হাজার ১২২ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁদের ৮৫০ বর্গফুট দেওয়া হয়েছে—এটি চরম মিথ্যাচার। নিয়ম অনুযায়ী দেয়াল, কার্নিশ, বারান্দা, কমন স্পেস, লিফটসহ পরিমাপ করে এ ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত ও ফ্ল্যাটের পদ্ধতিকে উপেক্ষা করে দম্ভ ও হঠকারিতার সঙ্গে দখলদারদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলেছেন। ইফতেখারুল ইসলাম আরও বলেন, যে রিট মামলার কথা বলা হচ্ছে, তা ফ্ল্যাটের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।দখলদারদের একজন কেয়াম উদ্দিন মোল্লা। তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাসন বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি। তাঁকে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেটি নেননি। অন্য দুটি ফ্ল্যাট দখল করে আছেন। তিনি একটি দোকানও বরাদ্দ পেয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুটি ফ্ল্যাট এক করে আমরা ছয়-সাত বছর ধরে থাকছি। এখন সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব?’ একই অভিযোগ রয়েছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাসন বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বগুড়ার আবু শহীদ বিল্লাহ, ঢাকার দোহারের গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। তাঁরা সবাই একই কথা বলেন। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম দুটি ফ্ল্যাট দখলে রেখেছেন। তাঁর নামে আজিমপুরে সরকারি বাড়ি আছে। যশোরের আবদুল লতিফকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে পাঁচ কাঠার প্লট দিয়েছে। এ ছাড়া আমীর হোসেন মোল্লার মিরপুরের দুয়ারীপাড়ায় একটি বাড়ি আছে। লতিফ ও আমীর দুজনই মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে একটি করে ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন।এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা তো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিষয়। পুলিশ কেন এ বিষয়ে তাদের মতামত দেবে? তারা উচ্ছেদ কার্যক্রমে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে। তাদের কাজ হচ্ছে নিরাপত্তা দেওয়া। সেটাই তো করা উচিত। বিষয়টি এত দিন আমার কাছে আসেনি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।’ | 403,658 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০২ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০২ | সংস্কৃতি | 0 | ‘মৃৎশিল্পের নান্দনিক রূপকার’ গ্রন্থের প্রকাশনা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/320158 | মৃৎশিল্পী আজহারুল ইসলাম শিল্পচর্চার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। গত শুক্রবার প্রকাশিত হলো গুণী এই শিল্পীর জীবন ও শিল্পকর্মভিত্তিক প্রকাশনা। মৃৎশিল্পের নান্দনিক রূপকার শিরোনামের গ্রন্থটিতে লিখেছেন ৫১ জন লেখক, শিল্প-সমালোচক, কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক। সম্পাদনা করেছেন শেখ মনির উদ্দিন। বইটিতে শিল্পীর জীবনের নানা বিষয়ের পাশাপাশি উঠে এসেছে মৃৎশিল্প-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য। উঠে এসেছে শিল্পীর কর্মজীবন, ব্যক্তিমানস, শিল্পদর্শন, করণকৌশল ও সামাজিক কল্যাণযোগ। বইটি প্রকাশ করেছে বাংলালিপি।ওই দিন বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, কথাসাহিত্যিক বুলবন ওসমান, শিল্প-সমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদ ও আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুন। | 93,561 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৮ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:১৬ | ফিলিপাইন,এশিয়া | null | ধর্ষণ নিয়ে দুতার্তের কৌতুক, নিন্দা নারীবাদীদের | http://www.prothom-alo.com/international/article/1555884 | ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের জিবে কামড় দেওয়ার ব্যাপারে সুনাম নেই। প্রকাশ্য জনসভায় অশালীন মন্তব্য করে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন রদ্রিগো দুতার্তে। তারপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যে যুদ্ধে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।গত বৃহস্পতিবার দুতার্তে ধর্ষণ নিয়ে কৌতুক করেছেন। সম্প্রতি পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে তাঁর নিজের শহর দাভাওতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। দুতার্তে একসময় শহরটির মেয়র ছিলেন।দুতার্তে বলেন, ‘ওরা বলছে দাভাওতে ধর্ষণ বেড়ে গেছে। যত দিন অনেক সুন্দরী নারী আছেন, তত দিন আরও ধর্ষণের মামলা হবে।’ফিলিপাইনভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট র্যাপলারের বরাতে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, প্রেসিডেন্ট এরপর ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করেন, ‘প্রথম অনুরোধে কে এটা করতে রাজি হন? নারীটি কি রাজি হবে? না। “এসো না, না, আহ।” কেউ প্রথম চেষ্টায় রাজি হন না। এটাই হলো ধর্ষণ।’নারীবাদী গ্রুপগুলো প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হ্যারি রোক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘কৌতুক করে প্রেসিডেন্ট যে কথা বলেছেন, সেটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।’ ‘ধর্ষণের কৌতুক হিসেবে ওগুলো ঠিক নয়,’ রোক বলেন, ‘তবে আমার বলতে পারি, অশোভন আর শোভনের মানের ক্ষেত্রে দক্ষিণ অনেক বেশি উদার।’২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুতার্তে এ ধরনের কত মন্তব্য করেছেন, তার হিসাব রাখা কঠিন। গত বছর তিনি কৌতুক করে সেনা শাসনে থাকা এলাকায়গুলোয় সৈনিকেরা শাস্তি ছাড়া তিনজন নারীকে ধর্ষণ করতে পারে বলে আল-জাজিরায় খবর হয়েছিল। নির্বাচিত হওয়ার আগে প্রচারে গিয়ে এক জায়গায় তিনি অস্ট্রেলিয়ান মিশনারি জ্যাকুলিন হ্যামিলের ঘটনাটি টেনে আনেন। হ্যামিলকে ১৯৮৯ সালে এক কারা দাঙ্গায় কয়েদিরা গণধর্ষণ করে হত্যা করে। দুতার্তে তখন দাভাওর মেয়র ছিলেন।তিনি বলেছিলেন, ‘সে ধর্ষিত হওয়ায় আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম, সেটা এক কথা। কিন্তু তিনি এত সুন্দরী ছিলেন, মেয়রেরই প্রথম হওয়া উচিত ছিল। কী অপচয়।’নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, আর যখন তাঁর মেয়ে বলেন, তাঁকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছিল, তখন তিনি (দুতের্তে) তাঁকে একজন ‘নাটকপ্রিয়’ বলে আখ্যায়িত করেন। | 375,478 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:২৫ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:২৭ | -1 | 0 | ত্রাণের অপেক্ষায় বন্যাদুর্গতরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/624523 | টানা পাঁচ দিন পানিবন্দী ছিলেন বগুড়ার ধুনটের বাসিন্দা আবদুস সামাদ (৭০)। ঘরে খাদ্যসামগ্রী যা ছিল, সব শেষ। আশায় ছিলেন, কেউ যদি ত্রাণ নিয়ে আসে। তবে পাঁচ দিন পার হলেও কেউ আসেনি। গত শুক্রবার কোনোরকমে বাড়িঘর ছেড়ে এলাকার একটি রাস্তায় বসতি গেড়েছেন তিনি।আবদুস সামাদ ক্ষোভের সুরে বললেন, ‘পাঁচ দিন বন্যার মধ্যে ছিলাম। শুক্রবার সকালে রাস্তার ওপর পলিথিন দিয়ে ছাপরা ঘর তৈরি করে বাস করছি। চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী দেয় নাই। আগের বন্যায়ও কোনো ত্রাণ পাইনি।’বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির খবর এসেছে গতকাল রোববার। এতে দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের। লাখো মানুষের মাথা গোঁজার আশ্রয় এবং মাঠের ফসল কেড়ে নিয়েছে বন্যা। এমন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পেয়ে শুরু হয়েছে হাহাকার।যমুনাসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সারিয়াকান্দিতে নদীভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত জেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে আছে জেলার সাত হাজার হেক্টর জমির ফসল।বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. খোরশেদ আলম সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট, সোনাতলা, শিবগঞ্জ ও আদমদীঘি—এ পাঁচ উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ২০১টি। বন্যায় সাত হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। দুর্গত মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে ১৫০ মেট্রিক টন চাল এবং পৌনে নয় লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।জেলার ধুনট উপজেলায় গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে যমুনায় বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শহড়াবাড়ি রাস্তা পানির স্রোতে ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ আসেনি।অবশ্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকার শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার নয়টি উপজেলার অর্ধশত ইউনিয়নের তিন শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।জেলার নয়টি উপজেলায় বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬৮ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।গাইবান্ধায় গতকাল ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদের পানি ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে করতোয়া ও তিস্তা নদীর পানি সামান্য কমেছে।জেলার পানিবন্দী লোকজন বিভিন্ন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বাঁধ ও সড়কেও মানুষের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ফলে অনেককে ভটভটি, রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে দিন-রাত কাটাতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণও পাচ্ছে না তারা।গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল মমিন খান বলেন, এ পর্যন্ত ১১টি ইউনিয়নে ৪৫ মেট্রিক টন চাল ও ৭৫ হাজার টাকার শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।এদিকে বন্যার পানিতে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গতকাল দুপুরে গাইবান্ধা সদরের খোলাহাটি ইউনিয়নের চকমামরোজপুর গ্রামের মকছুদ মিয়া (৬০) মারা গেছেন।পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রাজবাড়ী সদর, কালুখালী ও পাংশা উপজেলার প্রায় সাড়ে চার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। এ ছাড়া ভাঙনের হুমকিতে আছে প্রায় এক হাজার পরিবার। বর্তমানে পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৫-২০ দিন ধরে পদ্মা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের গ্রামগুলোর কিছু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।তবে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম খান দাবি করেন, জেলায় সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিষয়টি তদারক করছেন। কারও বাড়িতে পানি ওঠার কোনো খবর আমরা পাই নাই। তথ্য থাকলে আমাদের দেবেন। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুত রয়েছে। অনেক এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।’কুড়িগ্রামে গতকাল ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ভেঙে গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক। জেলার নয়টি উপজেলার ৬৩টি ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রামের সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ত্রাণের অভাবে সেখানেও তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা চাহিদামতো ত্রাণ না পাওয়ায় দুর্গত মানুষের কাছে যেতে পারছেন না।জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আরও বরাদ্দ চেয়ে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে।শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন পাঁচটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে চরপক্ষীমারী, চরমোচারিয়া, কামারেরচর, বলাইয়েরচর ও বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অর্ধশতাধিক বাড়ি।সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বলেন, শেরপুরের ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির রোপা আমন, ১০০ হেক্টর জমির সবজি খেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গতকাল দুপুরে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার হেলেঞ্চাবাড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৫০) বলেন, ‘আমার চার বিঘা জমির ধান খেত ডুইবা গেছে। পুলাপান নিয়ে কষ্টে আছি। আমাগো কেউ সাহায্য করতে আসে নাই।’জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অনেক চেয়ারম্যান ও মেম্বার তাঁদের বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী দ্রুত বিতরণ না করে জমিয়ে রাখেন। রোববার তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে।{সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি} | 166,686 |
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:০৯ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:১৫ | সিরাজগঞ্জ,দুর্ঘটনা | 0 | সিরাজগঞ্জে ট্রাকের সংঘর্ষে চালক নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1332906 | সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মহিষলুটি এলাকায় আজ বুধবার দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ট্রাকের চালক মারা গেছেন। নিহত চালকের নাম রাজু হোসেন (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পেতিবাড়ি গ্রামের আবদুস ছামাদের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের জিলানী জানান, মহিষলুটি ৬ নম্বর সেতুর কাছে নাটোর ও সিরাজগঞ্জগামী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুটি ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সিরাজগঞ্জগামী ট্রাকের চালক কেবিনের মধ্যে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। | 339,561 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুন ২০১৬, ০২:০৭ | ২৩ জুন ২০১৬, ০২:০৮ | নারায়ণগঞ্জ,রাজধানীর চারপাশ,রাজনীতি | 0 | বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আইভির শ্রদ্ধা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/896665 | নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী উপমন্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।গতকাল বুধবার সকালে তিনি শহরের ২ নম্বর রেল গেট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।এ ছাড়া আইভী শহরের মাসদাইরে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে প্রয়াত দুই রাজনীতিক এ কে এম সামসুজ্জোহা ও আলী আহাম্মদ চুনকার কবর জিয়ারত করে সেখানে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি উপমন্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ও শুকরিয়া আদায় করেন। এদিকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, বিভিন্ন সংগঠনসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন ফুল নিয়ে মেয়রকে শুভেচ্ছা জানাতে নগর ভবনে হাজির হন। | 234,916 |
কাজী ইস্কান্দার আলী | education | শিক্ষা | ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৮ | ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৮ | পড়াশোনা | 0 | কৃষিশিক্ষা | http://www.prothom-alo.com/education/article/998073 | বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরপ্রিয় পরীক্ষার্থী, কৃষিশিক্ষা বিষয় থেকে অধ্যায়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো। সঠিক উত্তর দেওয়া হলো নিচের অংশে।অধ্যায়-২১। গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করা হয়কোন মাটিতে?ক. শুকনো খ. পাথুরেগ. কর্দমাক্ত ঘ. বেলে২। গুটি ইউরিয়া ব্যবহারের সুবিধা হলো—i. ১৫ থেকে ২০ ভাগ ফলন বেশি পাওয়া যায়ii. গাছকে ধীরে ধীরেনাইট্রোজেন দেয়iii. এক মৌসুমে একবার ব্যবহার করা হয়নিচের কোনটি সঠিকক. i ও ii খ. i ও iiiগ. ii ও iiiঘ. i, ii ও iii৩। গুটি ইউরিয়া ব্যবহারের লাইন ও চারার দূরত্ব কেমন হবে?ক. ১০ ┤ ১০ সেমিখ. ১৫ ┤ ১৫ সেমিগ. ২০ ┤ ২০ সেমিঘ. ২৫ ┤ ২৫ সেমি৪। কোন ফসলটি মোজাইক রোগে আক্রান্ত হয়?ক. ধান খ. শিম গ. গম ঘ. মুগ৫। গুটি ইউরিয়ার ওজন যদি ১.৮ গ্রাম হয়, তবে বোরোতে কতটি গুটি প্রয়োগ করতে হয়?ক. ১ খ. ২ গ. ৩ ঘ. ৪৬। কোন গরু মোটাতাজাকরণেরজন্য ভালো?ক. বলদ খ. ছোট গরুগ. বড় গরু ঘ. ষাড় বাছুর৭। গরু মোটাতাজাকরণে কত বছরের বাছুর কেনা উত্তম?ক. ১-১.৫ খ. ১.৫-২গ. ২-২.৫ ঘ. ২.৫-৩৮। গরু মোটাতাজাকরণে ঘর নির্মাণ করতে প্রতিটি গরুর জন্য কী পরিমাণ জায়গার দরকার?ক. ১┤১ মিটার খ. ১┤১.৫ মিটারগ. ২┤২ মিটার ঘ. ১.৫┤২ মিটার৯। কোনটিতে খনিজ লবণ ওভিটামিন থাকে?ক. ভাঙা গম খ. খড়গ. হাড়ের গুঁড়া ঘ. কুঁড়া১০। খড়-কুঁড়া, ভুট্টা বা গম ভাঙা, ঝোলাগুড়ে কী বেশি থাকে?i. আমিষ ii. শর্করা iii. চর্বিনিচের কোনটি সঠিকক. i ও ii খ. i ও iiiগ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii১১। এক কেজি ইউরিয়ার দ্রবণ তৈরির জন্য কত লিটার পানির প্রয়োজন?ক. ১০ খ. ২০গ. ৩০ ঘ. ৪০১২। কোন রোগের ফলে উদ্ভিদের পাতা ঝলসে যায়?ক. বাদামি দাগ রোগখ. ধসা রোগগ. মোজাইক রোগঘ. ঢলে পড়া রোগ১৩। মোজাইক রোগ দেখা যায় কোনটিতে?ক. আলু খ. বেগুনগ. ঢ্যাঁড়স ঘ. টমেটো১৪। মৃত পাখির সত্কারে কোনটিব্যবহূত হয়ক. ফরমালিন খ. চুনগ. ডিডিটিঘ. ব্লিচিং পাউডারবাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালসিনিয়র শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূরমোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | 282,311 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ২০:১৭ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ২০:২১ | -1 | 0 | মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/829150 | অভিবাসন খাতের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য সুশাসন ও সঠিক ব্যবস্থাপনা দরকার। যাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন, সেই প্রবাসীরা টাকা পাঠানোর যন্ত্র নন, তাঁরা মানুষ। কাজেই তাঁদের অধিকারের বিষয়গুলোতেও নজর দিতে হবে। নারী গৃহকর্মীরা যেন কোনোভাবেই নির্যাতিত না হন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) ঢাকা বৈঠক সামনে রেখে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত জাতীয় সংলাপে বক্তারা এ কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা ওয়ারবি, এডব্লিউ ইন্টারন্যাশনাল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অভিবাসন খাতের সঙ্গে জড়িত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা যোগ দেন। সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, কোনো একটি দেশের বদলে প্রবাসীদের অধিকারসহ নানা বিষয়ে এশিয়ার দেশগুলো একই সুরে একই স্বার্থে কথা বলতে পারে। বর্তমানে যে প্রযুক্তির যুগ চলছে, সেটিও অভিবাসীদের জন্য কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আজহারুল হক বলেন, ‘ডিসেম্বরে ঢাকায় জিএফএমডির সম্মেলন। এর আগেই আমরা নাগরিক সমাজের কথা শুনতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম বলেন, অভিবাসন ব্যবস্থাপনা যেমন ঠিক করা দরকার, তেমনি অধিকারও গুরুত্বপূর্ণ। গৃহকর্মী হিসেবে যেসব নারী যাচ্ছেন, তাঁরা যেন কোনোভাবেই নির্যাতিত না হন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নারী গৃহকর্মী নন, ইউরোপে অনেক কেয়ারগিভার দরকার। সে জন্যও প্রশিক্ষণ জরুরি। আর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা।বেসরকারি সংস্থা ওয়ারবির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, জিএফএমডির মূল উদ্দেশ্য অভিবাসন খাতের সমস্যা দূর করে সুশাসন তৈরি করা। সুশাসন শুধু দেশে তৈরি করলে হবে না, যেসব দেশ শ্রমিক নেয় আর যেসব দেশ পাঠায়, সব জায়গাতেই এই সুশাসন তৈরি করতে হবে। ওয়ারবির মহাসচিব ফারুক আহমেদ বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আরও পাঁচ-ছয় বছর আগে ঘোষণা করেছিলেন, নারী গৃহকর্মী নির্যাতন কোথাও সহ্য করা হবে না। কিন্তু এখনো বিদেশে নারী গৃহকর্মীরা নির্যাতিত হচ্ছেন। এটি বন্ধ করতে হবে।’ অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান রেহনুমা সালাম খান, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম, জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সভাপতি আলী হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব ওয়াজেদ আলী খান এবং অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বক্তৃতা করেন। | 219,758 |
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান | education | শিক্ষা | ২৯ মার্চ ২০১৬, ০০:০১ | ২৯ মার্চ ২০১৬, ০০:০১ | পড়াশোনা | 0 | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | http://www.prothom-alo.com/education/article/812845 | বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে অধ্যায়ভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরের নমুনা দেওয়া হলো।অধ্যায়-৬৩৬. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে প্রায়ই মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়?ক. ঢাকা ও মানিকগঞ্জে খ. চট্টগ্রাম ও সিলেটেগ. রংপুর ও চট্টগ্রামে ঘ. সিলেট ও খুলনায়৩৭. কোনটি থেকে বাংলাদেশে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়?ক. চামড়ার কারখানা থেকে খ. ইটের ভাটা থেকেগ. জুতার কারখানা থেকে ঘ. মিষ্টির কারখানা থেকে৩৮. জলবায়ুর প্রকৃতি বোঝার বিশেষ উপাদান—i. বায়ুর তাপii. আর্দ্রতাiii. বারিপাতনিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. ii গ. i ও ii ঘ. i, ii ও iii৩৯. কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উত্পন্ন হয়—i. ভূগর্ভস্থ জ্বালানি থেকেii. ইটের ভাটায়iii. দাবানল থেকেনিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii৪০. পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের বিলুপ্তির যথার্থ কারণ কী?ক. প্রকৃতির পরিবর্তন খ. জলবায়ুর পরিবর্তনগ. নদ-নদীর পরিবর্তন ঘ. বন্দুকের ব্যবহারঅধ্যায়-৭১. ২০০১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত ছিল?ক. ৭ কোটি ৯৩ লাখ খ. ৮ কোটি ৯৩ লাখগ. ১১ কোটি ১২ লাখ ঘ. ১২ কোটি ৯৩ লাখ২. বর্তমানে কিসের উন্নতির ফলে শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে?ক. চিকিত্সাবিজ্ঞানের খ. অর্থনীতিরগ. সমাজব্যবস্থার ঘ. মানসিকতার৩. কখন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়?ক. যত শিশু জন্মগ্রহণ করে তার চেয়ে বেশি মারা গেলেখ. যত শিশু জন্মগ্রহণ করে তার চেয়ে কম মারা গেলেগ. যত শিশু মৃত্যুবরণ করে তার চেয়ে কম জন্মগ্রহণ করলেঘ. জন্মহার ও মৃত্যুহার সমান হলে৪. জনসংখ্যা হ্রাস পায় কখন?ক. জন্মহারের চেয়ে মৃত্যুহার বেশি হলেখ. জন্মহারের চেয়ে মৃত্যুহার কম হলেগ. জন্মহার ও মৃত্যুহার সমান হলেঘ. জন্মহার বেশি হলে৫. বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারের ফলে মৃত্যুহারে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে?ক. দ্রুতগতিতে হ্রাস পেয়েছেখ. ধীরগতিতে হ্রাস পাচ্ছেগ. উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছেঘ. সাধারণভাবে হ্রাস পেয়েছে৬. মৃত্যুহার ক্রমেই হ্রাস পাওয়ার কারণ—i. শিক্ষার প্রসারii. স্বাস্থ্যশিক্ষার প্রসারiii. বাল্যবিবাহক. i ও ii খ. ii ও iii গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালসঠিক উত্তরটি মিলিয়ে নাওবাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়সঠিক উত্তর: অধ্যায়-৬৩৬. খ ৩৭. খ ৩৮. ঘ ৩৯. ঘ ৪০. খঅধ্যায়-৭১. ঘ ২. ক ৩. খ ৪. ক ৫. গ ৬. কসহকারী শিক্ষকপিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | 215,298 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০৩ | ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০৩ | বাণিজ্য,অপরাধ | 0 | মালয়েশীয় কোম্পানির অবৈধ আবাসন মেলা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1015475 | কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা, মেলা বন্ধ করে দিল লেকশোর হোটেল কর্তৃপক্ষআইন অনুযায়ী দেশের বাইরে ফ্ল্যাট বা জমি কেনার কোনো সুযোগ নেই। এরপরও দ্য মেরিন নামে মালয়েশিয়ার একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান গতকাল রোববার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে একটি মেলার আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটির সাত-আটজন কর্মকর্তা বাংলাদেশি নাগরিকদের ফ্ল্যাট কিনতে প্রলোভন দেখান। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ দুপুরের আগেই মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।এদিকে মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠানের মেলা আয়োজনের ঘটনার সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকও। সতর্কতায় বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অর্থ প্রেরণের যোগসাজশের ঘটনা দণ্ডযোগ্য হবে।যোগাযোগ করা হলে লেকশোর হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে চাপ আসায় আমরা দুপুরেই মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা তো হোটেল ভাড়া দিয়েছিলাম শুধু। কাল যথাযথ অনুমোদন আনতে পারলে তাদের মেলা করতে দেওয়া হবে। অন্যথায় মেলা আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই।’বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া দেশের বাইরে অর্থ পরিশোধের সুযোগ নেই। তবে আমদানির বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করা যায়। ঘোষণা দিয়ে ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে শিক্ষা, চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য ছোট অঙ্কের অর্থ বাইরে নেওয়া যায়। এ ছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় বাইরে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে জমি ও ফ্ল্যাট কেনার জন্য অর্থ প্রেরণের কোনো সুযোগ নেই।এরপরও দ্য মেরিন নামে মালয়েশীয় একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি বিজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, রাজধানীর লেকশোর হোটেলে রবি ও সোমবার মেলার আয়োজন করা হবে। মঙ্গল ও বুধবার চট্টগ্রামের ক্লাবে আয়োজন করা হবে মেলার। বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল বেলা ১১টায় লেকশোর হোটেলে মেলা শুরু করেন দ্য মেরিনের সাত-আটজন কর্মকর্তা। কর্মকর্তাদের সবাই বিদেশি। তাঁরা আগ্রহীদের ফ্ল্যাট কিনতে প্রলুব্ধ করেন। পরে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের চাপে দুপুরের আগেই মেলার আয়োজন বন্ধ করে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।দ্য মেরিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি মর্তুজা করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শুধু মেলা আয়োজনের জন্য নিয়োগ পেয়েছি। মেলাটি আজকে দুপুরেই বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য সব বিষয়ে আমার পক্ষে কথা বলা কঠিন।’ সোমবারও মেলা আয়োজনের চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।এদিকে মেলার আয়োজন দেখতে গতকাল লেকশোর হোটেলে যান আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) মিডিয়া কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কামাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান এভাবে দেশে মেলা করছে। আমরা বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’এদিকে অনুমোদনহীন এই মেলার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে রিহ্যাব। এভাবে অনুমোদনহীন মেলা চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি আরও হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। রিহ্যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। | 263,212 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ মার্চ ২০১৬, ১০:৫৬ | ১৯ মার্চ ২০১৬, ১১:২৪ | রাজনীতি | null | সম্মেলন উদ্বোধন করলেন খালেদা জিয়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/803434 | জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছয় বছর পর আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এই সম্মেলন শুরু হয়।এ উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। নেতা-কর্মীদের ভিড়ে ওই এলাকার রাস্তায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।বিএনপির সম্মেলনে উৎসবমুখর পরিবেশইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিলররা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডেলিগেটরা বসেছেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢোকার সময় কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। দলের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনের সফলতা কামনা করে স্লোগান দিচ্ছেন।‘দুর্নীতি দুঃশাসন হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ’—স্লোগান নিয়ে এবারের সম্মেলন হচ্ছে।আরও জানতে পড়ুন:নেতৃত্বে নয়, রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে? | 212,078 |
মহিউদ্দিন আহমদ | opinion | মতামত | ২৫ এপ্রিল ২০১৫, ০০:১৩ | ২৫ এপ্রিল ২০১৫, ০০:১৫ | মহিউদ্দিন আহমদ,মতামত,লেখকের কলাম,রাজনীতি,সিটি নির্বাচন | null | মেয়রের হাতে কি আলাদিনের চেরাগ আছে? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/511699 | অনেক বছর আগে একটি গান শুনেছিলাম—গণসংগীত। একটি লাইন এখনো মনে পড়ে: ‘জান দিয়ে ইলেকশন পেলাম লাগল দেশে ধুম’। জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলোর কথা না বলে ভোটের রাজনীতি নিয়ে মাতামাতিকে বিদ্রূপ করে ষাটের দশকে অনেক বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী এই গানটি গাইতেন। দুদিন পরই হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। চারদিকে হইহই-রইরই। দেশটা ভাসছে নির্বাচনের জোয়ারে।দেশের আইন অনুযায়ী এই নির্বাচন হবে নির্দলীয় ভিত্তিতে। কিন্তু ঘটা করে যেভাবে দল থেকে মনোনয়ন কিংবা সমর্থন দেওয়া হচ্ছে এবং দলের রাঘববোয়ালেরা যেভাবে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাতে নির্বাচনটা আর নির্দলীয় থাকছে না। মসজিদেও শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচার। নির্বাচনের আচরণবিধিকে যেভাবে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচন কমিশন কি নখ-দন্তহীন, না মেরুদণ্ডহীন? নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা অসীম। কিন্তু এই ক্ষমতা বাস্তবে প্রয়োগ করার ইচ্ছা, সাহস ও যোগ্যতা কমিশনের আছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।কয়েকটি বড় রাজনৈতিক দল রীতি পাল্টে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার প্রস্তাব করেছে। শিগগিরই হয়তো আইন করে এটা জায়েজ করা হবে। রাজনৈতিক দলের জন্য এটা খুবই দরকার। আমরা অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছি এবং শিখেছি যে মেয়রের কাজ প্রধানত দুটি। দলের জনসভায় লোক সাপ্লাই দেওয়া এবং দলের ক্যাডারদের ঠিকাদারি পাইয়ে দেওয়া। যে ওয়ার্ডে সরকারদলীয় কাউন্সিলর নেই, সেই ওয়ার্ডে কোনো ‘উন্নয়ন’ হয় না, অথবা উন্নয়নের তাবৎ কাজ তত্ত্বাবধান করেন সরকারি দলের পরাজিত প্রার্থী অথবা তাঁর কোনো কুটুম।আয়তনের দিক থেকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা একটি ছোট শহর, কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে অনেক বড়। ঢাকার জনসংখ্যা কত? কেউ বলেন দেড় কোটি, কেউবা বলেন দুই কোটি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘ঢাকা স্ট্যাটিস্টিক্যাল মেট্রোপলিটন এরিয়া’র মধ্যে টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জও আছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জনসংখ্যা এক কোটির মতো। আমাদের তো সবকিছু বাড়িয়ে বলার অভ্যাস। এই শহরে মানুষ গাদাগাদি করে বাস করে। পানীয় জল, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ-সুবিধা এবং ঘরের মান অনুযায়ী বলা চলে এই শহরের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ প্রকৃত অর্থেই বস্তিবাসী। এ রকম সমস্যা-কণ্টকিত একটি জনপদকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্য নিয়ে আসাটা একটা বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। এ সমস্যার সমাধান জয় বাংলা কিংবা জিন্দাবাদ স্লোগানের মধ্যে নেই। সাধারণ মানুষের সমস্যাকে সমস্যা হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারলে নগরবাসী স্বস্তি পাবেন।এবারের সিটি নির্বাচনে কিছু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য নজরে পড়ছে। মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। পেছনে তাঁদের রাজনৈতিক মুরব্বিরা পরস্পরের বিরুদ্ধে যতই খিস্তিখেউড় করুন না কেন, প্রার্থীরা কথা বলছেন ভদ্রলোকের মতো, ‘জিব ছিঁড়ে ফেলব’ বা ‘মাটির নিচে পুঁতে ফেলব’—এ-জাতীয় কথা মেয়র প্রার্থীদের মুখে এখনো শোনা যায়নি। এটা ভালো লক্ষণ।মেয়র প্রার্থীরা তাঁদের ইশতেহারে দুনিয়ার যত সুন্দর শব্দ ছেঁকে তুলেছেন, তা নাগরিকদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় কোনো আবর্জনা দেখা যাবে না, সবাই গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি পাবেন, যানজট জাদুঘরে চলে যাবে। সবাই নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবেন, ইত্যাদি। প্রার্থীরা অনেকেই জানেন না, তাঁরা তাঁদের এখতিয়ারের বাইরে কথা বলছেন। নির্বাচিত হয়ে যখন এর কোনোটাই তাঁরা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না, তখন তাঁরা যুক্তি দেখাতে পারবেন, ‘আমাকে সরকার এই ক্ষমতা দেয়নি, তাই আমি আন্তরিকতা সত্ত্বেও অঙ্গীকার পূরণ করতে পারিনি।’ নিজস্ব সীমার মধ্যে থেকে প্রার্থীরা যদি কর্মসূচি দেন, তাহলে তা মনিটর করা সহজ, সম্ভব তাঁদের জবাবদিহির মধ্যে আনা।মেয়র সাহেবেরা অতীতে শুধু দোকান বানানো আর দোকান বেচাকেনার পেছনেই ছুটেছেন বেশি। কারণ, তাতে ‘নগদ নারায়ণ’ মেলে। ঢাকা শহরে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চলাচল করে। তাদের অনেককেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথে থাকতে হয়। অথচ তাদের প্রয়োজনমতো ‘পাবলিক টয়লেট’ নেই। ‘পাবলিকের’ সুবিধা হয়, এমন কিছু নিয়ে মেয়র সাহেবেরা বেশি ভাবেন না। অথচ নির্বাচনী ইশতেহারে কেউ একজন বলতে পারতেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমি ৫০০ পাবলিক টয়লেট বানাব, ৫০০ একর জমি বনায়ন করব’—এই হচ্ছে তার ম্যাপ এবং লোকেশন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট করে সংখ্যা বা পরিমাণ উল্লেখ করে এবং কত দিনের মধ্যে তার কতটুকু বাস্তবায়ন করা হবে, এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তাঁদের প্রতিশ্রুতিগুলো একেবারেই সাধারণ, বাগাড়ম্বরপূর্ণ এবং বায়বীয়। ‘সবুজ ঢাকা চাই’ কথাটি যথেষ্ট নয়। বলতে হবে নগরকে আবর্জনা ও দুর্গন্ধমুক্ত করার জন্য আমি এই জায়গায় এত টন ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্য পরিশোধনাগার তৈরি করব তিন কিংবা চার বছরের মাথায়।নিরাপদ নগরের কথা বলছেন প্রার্থীরা। নাগরিকেরা আতঙ্কিত। কারণ, অনেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা। অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও আছে। একজন মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা আছে। সব কি মিথ্যা মামলা? আমরা কাদের হাতে জিম্মি হব? মাস্তানদের হাতে?নগরে সেবাদানকারী অনেক সংস্থা কাজ করে। এদের একটির সঙ্গে আরেকটির সমন্বয় নেই। ঢাকা শহর দুই টুকরা করা হলো। সমন্বয়টা হবে কীভাবে? তাঁদের হাতে কি আলাদিনের চেরাগ আছে?প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে’ তর্কযুদ্ধ করতে থাকুন, সাধারণ নাগরিকেরা অস্বস্তিতে আছেন। কারণ, তাঁদের জন্য সমতল জমি তৈরি করে দিচ্ছেন না কেউ। নগর সরকারের নামে মেয়ররা আরও ক্ষমতা চান। নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত ‘স্পেস’ তৈরি করার কথা কেউ ভাবেন না।মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক।mohi2005@gmail.com | 134,160 |
শাহাদাত জামান | life-style | জীবনযাপন | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:২২ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ | ছুটির দিনে,বেড়ানো | 0 | কির্সতংয়ের কড়চা | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1559418 | কির্সতং অভিযানের অদ্ভুত মায়াময় এক ছবি দেখেছিলাম ফেসবুকে। এই ছবিই উৎসাহ জুগিয়েছিল সেখানে পা ফেলার। সহকর্মী ভিডিও এডিটর সাকিব নিলয়েরও পাহাড়ে ঘোরার শখ। তাকে আগেই বলে রেখেছিলাম, এবার পাহাড়ে যাব একসঙ্গে। তাই পরিকল্পনাও এগোল দুজন মিলে। পরে কির্সতংয়ের চূড়ায় ওঠার সে পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হলো চারুকলার ছাত্রী সামিরা কামিল।কির্সতং নিয়ে অল্পবিস্তর তথ্যও জানা গেল। এই পাহাড়ের অবস্থান বান্দরবানের চিম্বুক রেঞ্জে। কির্সতং নামটি এসেছে মূলত ‘কিরসা’ এবং ‘তং’ শব্দ থেকে। ‘কিরসা’ হচ্ছে একধরনের ছোট পাখি। মারমা ভাষায় ‘তং’ অর্থ পাহাড়। কির্সতং—যে পাহাড়ে ছোট ছোট পাখি উড়ে বেড়ায়। এই ছোট পাখি উড়ে বেড়ানো পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ২ হাজার ৯৫০ মিটার।সব ঠিকঠাক। রাত ১০টায় বাস। বাস ছাড়বে ঢাকার কল্যাণপুর থেকে। সে রাতে আমি, নিলয় কাউন্টারে যথাসময়ে হাজির। কিন্তু সামিরা কামিলের কোনো খোঁজ নেই। এদিকে বাসের কাউন্টার থেকে বারবার এসে তাগাদা দিচ্ছিল। সে তাগাদা একসময় চিৎকার পর্যন্ত পৌঁছাল। ১৫ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর বাসের লোকজন জানিয়ে দিল, ‘সময় ও স্রোতের মতো বাসও কারও জন্য অপেক্ষা করে না।’ মহা বিপত্তি! এরও ৫ মিনিট পর কামিল ফোনে জানাল, সে কল্যাণপুরে। নিলয় গেল কামিলকে আনতে। নিলয় ১০ মিনিট পর বিধ্বস্ত বদনে এসে জানাল, কামিল আসলে শ্যামলীতে দাঁড়িয়ে আছে! এরপর আমাদের দুজনের দিকে বাসচালক রীতিমতো সুপার ভিলেনের মতো কটমট করে তাকিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করলেন। মনে মনে পুরো বাসের যাত্রীরা যে আমাদের গোষ্ঠী উদ্ধার করেছে, তা আপাতত না ভাবাই শ্রেয়।পরদিন ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়া বাসস্ট্যান্ডে নামলাম। সেখানে নাশতা সেরে চান্দের গাড়ির ছাদের ওপরে উঠে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার দিকে রওনা হয়ে গেলাম। পাহাড়ের বুক চিরে এলোমেলো রাস্তা আর মাথার ওপরে মেঘের আনাগোনা দেখতে দেখতে কখন যে আলীকদম পৌঁছে গেলাম, বুঝতেই পারিনি।টানা কয়েক দিন স্থানীয় পাহাড়িদের বাসায় থাকতে হবে। তাঁদের খাবারের সঙ্গে যেহেতু আমাদের অভ্যস্ততা নেই, তা ছাড়া গহিন পাহাড়ে হাঁটতে হবে তিন দিনের মতো, তাই তিনজনের খাবার আর বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিলাম। এরপর বাইকে আলীকদম–থানচি রাস্তা ধরে যেতে হলো আরও ১৭ কিলোমিটার। আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা হচ্ছে এটি। কী নেই রাস্তার চারপাশে? দুই পাশ জুড়ে নানা উচ্চতার পাহাড়, দূরে পাহাড়ের গা দিয়ে বেয়ে পড়া নাম না জানা ছোট ছোট ঝরনা, ভয় ধরানো উঁচু-নিচু বাঁক। কী ভয়ানক সৌন্দর্য সেসবে!সেদিন ১৭ কিলোমিটার নামে এক জায়গায় গিয়ে পূর্বপরিচিত রাংকিতের বাসায় গিয়ে ব্যাগ রেখে গাইড নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাশের ঝরনা দেখতে। এর মধ্যে শুরু হয়েছে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। ঝরনা দেখতে যেতে হলে একটি ঝিরিপথ আর তিনটি মাঝারি মাপের পাহাড় পাড়ি দিতে হবে। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি পথ এত পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে যে আমাদের হাঁটতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। কোনোভাবেই পা আটকিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। অনেক কষ্টে পাহাড়ে নেমে যখন ঝিরিপথের কাছে পৌঁছালাম, আমাদের চক্ষু তো চড়কগাছ! একি, ঝিরিপথ তো রীতিমতো ভরা বর্ষায় স্রোতস্বিনী নদী হয়ে বয়েছে। আমি আর কামিল সাঁতার পারলেও নিলয় সাঁতারের ‘স’–ও পারে না। আমার কাছে হ্যামক ছিল, শেষে বুদ্ধি করা হলো নিলয়ের কোমরে হ্যামকের দড়ি বেঁধে তাকে পার করিয়ে নেব। এরপর কয়েকটা পাহাড়–জঙ্গল পার হয়ে যখন সামনে শেষ ঝিরিপথটা পড়ল, তা দেখে তিনজনেরই আত্মারাম খাঁচাছাড়া অবস্থা। পাহাড়ি ঢলের কারণে পুরো ঝিরিপথ তখন যেন পদ্মার আকার ধারণ করেছে। শেষমেশ সেদিন ঝরনা না দেখেই ফিরতে হয়েছিল।সেদিন রাতে রাংকিতের বাসায় থেকে পরদিন সকালে রওনা দিলাম আমাদের লক্ষ্যে। তবে কির্সতং যেতে আপাতত গন্তব্য পাহাড়ি গ্রাম খেমচং পাড়ায়। এই পাড়ায় রাতটা কাটিয়ে পরদিন সকালে কির্সতংয়ের চূড়ায় উঠব। গাইড ঠিকঠাক বলতেও পারছিলেন না আসলে কতক্ষণ হাঁটতে হবে। সকাল ১০টায় হাঁটা শুরু করে খেমচং পাড়ায় পৌঁছাতে সেদিন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। আমাদের ধারণা হলো, গাইড ঠিকঠাক রাস্তা চিনতেন না। তাই যখনই তাঁকে জিজ্ঞেস করছিলাম কতখানি হাঁটতে হবে, তিনি সব সময় বলছিলেন, ‘আর বিশ মিনিট’। যখন খেমচং পাড়ার দেখা পেলাম, তখন আমাদের গাইড খুশিতে রীতিমতো গান শুরু করে দিলেন। ততক্ষণে ক্ষুধায় আর জোঁকের কামড়ে আমাদের শরীরের অবস্থা যায় যায়।পরদিন আর এই গাইড নিয়ে কির্সতং যাওয়ার সাহস করলাম না। কে জানে, শেষে ওকেই আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেত হয় কি না! খেমচং পাড়া থেকে নতুন গাইড নিলাম। নাম তাঁর ডন। সকাল সকাল যাত্রা শুরু হলো। উঠতে হবে ২ হাজার ৯৫০ মিটার, পথে হাজার হাজার জোঁক, মাছি যেন ওত পেতে আছে। কির্সতং পাহাড়কে ঘিরে রয়েছে একটি বন। এই বনে বসবাস হরেক প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় পশু–পাখি ও প্রাণীর। বনের গাছগুলোকে দেখেই বোঝা যায়, এটি হাজারখানেক বছরের পুরোনো। আমরা হেঁটে চলছি সেই হাজার বছরের পুরোনো জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। কিছুক্ষণ পরপর থেমে পায়ে শরীরে লেগে থাকা জোঁক হাত দিয়ে টেনে টেনে ছাড়াচ্ছি। এর মধ্যে শুরু হলো বৃষ্টি। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরই যে পুরে পরিবেশটা বদলে গেল। সাধারণ একটা পাহাড়ি জঙ্গল থেকে সেটা নিমেষেই হয়ে গেল মায়াময়, অসম্ভব সুন্দর স্বর্গ টুকরো। এই দৃশ্য দেখার জন্যই টানা দুদিন হেঁটেছি। ততক্ষণে আমাদের শরীরে অসংখ্য জোঁক, মাছি, মৌমাছি নিজেদের চিহ্ন রেখে চলেছে। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের মাটি হয়ে গেছে ভয়ানক পিচ্ছিল। পা ফেলছি এক জায়গায়, পা পিছলে যাচ্ছে আরেক জায়গায়। মাঝেমধ্যে এমন সব খাড়া অংশ পড়ল, তা পাড়ি দিতে হলো সতর্ক হয়। একটু এদিক-ওদিকে পা দিলেই সোজা পাহাড়ের নিচে। কিন্তু সেগুলো থোড়াই কেয়ার করে চলছি আমরা। যদি পথেই এত মায়া রেখে থাকে কির্সতং, তাহলে ওপরে কী মায়া আর সৌন্দর্যটাই না জমিয়ে রেখেছে।বেলা ১১টায় আমরা কির্সতং চূড়ায় পা দিলাম। তখন শুধু চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করছিল, ‘তুমি অনেক সুন্দর, প্রিয় বাংলাদেশ। কী সৌন্দর্যটাই না লুকিয়ে রেখেছ তোমার ভাঁজে ভাঁজে। সার্থক তোমার কোলে জন্ম নিয়ে প্রিয় মা।’যেভাবে যাবেনঢাকা থেকে প্রথমে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় যেতে হবে। সেখান থেকে চাঁদের গাড়িতে আলীকদম। ভাড়া নেবে ৭০ টাকা। আলীকদমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিতে হবে। এরপর পানবাজার থেকে মোটরবাইক নিয়ে চলে যেতে হবে ১৭ কিলোমিটার এলাকায়। এখানে এক দিন থাকতে হবে। অলস সময় না কাটিয়ে আশপাশের ছোট ছোট ঝরনা দেখা যেতে পারেন। পরদিন সকালে উঠেই পায়ে হেঁটে পথ ধরুন ‘খেমচং’ পাড়ার। খেমচং পাড়া কির্সতং পাহাড়ের নিচের একটি পাড়া। এই খেমচংয়ে রাতটুকু কাটিয়ে ভোর নাগাদ কির্সতং অভিযান শুরু করুন।আরও কিছু কথা—পাহাড়ি যাত্রায় অবশ্যই সঙ্গে একজন স্থানীয় গাইড নেবেন। প্রায় পুরো রাস্তায় ট্রেক অর্থাৎ পাহাড়ে হেঁটে হেঁটে যেতে হবে, সেই মানসিক প্রস্তুতি যেন থাকে। পাহাড়ে কিংবা ঝরনায় বিস্কুটের প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি ফেলবেন না। | 378,219 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:২৮ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৩০ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর | 0 | চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে মারা গেছে ৫২টি ছাগল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/760465 | চট্টগ্রাম নগরের পোস্তারপাড় এলাকায় আগুনে পুড়ে মারা গেছে ৫২টি ছাগল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯টি ভ্যান। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক ও জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, নগরের পোস্তারপাড় রেললাইনের পাশের এলাকায় দুটি ঘর আগুন লেগে পুড়ে যায়। সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। এতে একটি ঘরে থাকা ৫২টি ছাগলের সব কটি পুড়ে মারা গেছে। ছাগলগুলো বিক্রির জন্য সেখানে রাখা হয়েছিল। আর অন্য ঘরে রাখা ১৯টি রিকশাভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘর দুটির মালিক মো. আরমান।আবদুর রাজ্জাক জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। | 198,939 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২১ জুলাই ২০১৩, ০১:৪৩ | ২১ জুলাই ২০১৩, ০১:৪৫ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,খেলা | 0 | ‘অন্যায্য সৌভাগ্যে’ সোয়ানের হাসি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/27316 | অদ্ভুত আর হাস্যকর সব বল আর আউটের অনেক ভিডিও ছড়িয়ে আছে ইউটিউবে। গ্রায়েম সোয়ানের পরশুর বলটা, আর তাতে ক্রিস রজার্সের আউট নিশ্চিতভাবেই পেতে যাচ্ছে ইউটিউব ক্লাসিকের মর্যাদা!সোয়ানের সেটি ছিল তৃতীয় ওভার। দ্বিতীয় বলটি করলেন লোপ্পা এক ফুল টস, ভাসতে ভাসতে সেই বল রজার্সের কাছে পৌঁছাল যেন অনন্তকাল পর। বলটা দেখেই চোখ বড় হয়ে গিয়েছিল রজার্সের, খেললেন তেড়েফুঁড়ে। ব্যাটে-বলে হলো না, বল লাগল গার্ডারে। আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস, এলবিডব্লু। সোয়ান পরে স্বীকার করলেন, বলটা তাঁর হাত থেকে ফসকে গিয়েছিল! ভাগ্যের খেলা শেষ নয় এখানেই। টিভি রিপ্লে দেখাল বল মিস করত লেগ স্টাম্প। রিভিউ চাইলে বেঁচে যেতেন রজার্স। কিন্তু আগেই একটি রিভিউ শেষ হয়ে যাওয়ায় হয়তো আর সাহস করে উঠতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার!এমন সৌভাগ্যে শুরু, সোয়ান বুঝে গিয়েছিলেন দিনটা তাঁরই। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এরপর ধসিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং। অ্যাসেজে দ্বিতীয়বার নিলেন ৫ উইকেট, দেশের মাটিতে প্রথমবার। পরে স্বীকার করলেন রজার্সের ওই উইকেট ভাগ্যের উপহার, ‘ভালো বোলিং আর খানিকটা অন্যায্য সৌভাগ্যের মিশ্রণেই আসলে এই ৫ উইকেট। রজার্সের আউটটা ছিল অদ্ভুত। নিশ্চিত করে বলতে পারব না কেন বা কীভাবে এটা হলো। টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে বাজে ক্রিকেট আর হয়েছে কিনা সন্দেহ! আমি নিশ্চিত, সেও আমার মতো বিব্রত হয়েছিল। এটা সেই সব অদ্ভুতুড়ে ঘটনাগুলোর একটি, যেগুলোর কোনো ব্যাখ্যা থাকে না। বলটা পুরোপুরি আমার হাত থেকে ফসকে গিয়েছিল।’ পেশাদারির শৃঙ্খলে বাঁধা এই যুগে সোয়ান এমনিতেই বিরল এক ‘চরিত্র।’ এই কাণ্ডে তাই যেন আরও বেশি মজা পাচ্ছেন ইংলিশ স্পিনার! তবে নিজেকে নিয়ে গর্ব আর তৃপ্তিও আছে। ১৯৩৪ সালে হেডলি ভেরিটির পর প্রথম ইংলিশ স্পিনার হিসেবে অ্যাশেজ টেস্টে নাম লেখালেন লর্ডসের অনার্স বোর্ডে। অনার্স বোর্ডে তাঁর নাম আগেও উঠেছে, তবে সত্যিকারের তৃপ্তিটা পেলেন যেন এবারই। স্বভাবসুলভ দুষ্টুমিও করলেন, ‘এর আগেও অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছি আমি, পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে ওটা নিয়ে মনে একটা খুঁতখুঁতে ভাব ছিল (ওটাই আমির-বাটদের সেই কলঙ্কিত টেস্ট)। আর অ্যাশেজ টেস্টে অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো ছিল শৈশবের স্বপ্ন। অবশ্য আজ (পরশু) সকালে আমার মনে হচ্ছিল ব্যাটিংয়ের অনার্স বোর্ডেও নাম লিখিয়ে ফেলতে পারি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে থামতে হলো ৭২ রান আগেই (করেছেন ২৮!)।’ ওয়েবসাইট। | 4,084 |
প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৪৭ | ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৯ | খুলনা বিভাগ,আইন ও বিচার,দামুড়হুদা,চুয়াডাঙ্গা,ধর্ষণ | null | ধর্ষক সাজা পেলেন, শিশুটির কী হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1587534 | চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে হাসেম আলী (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার আজ রোববার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।রায় ঘোষণার সময় ওই নারী তাঁর পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হাসেম আলীর বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলায়। রায়ের পর তাঁকে চুয়াডাঙ্গার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে হাসেম আলী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের আশ্বাস দিলেও তাকে বিয়ে করেননি হাসেম। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের কাছে বিচার চেয়েও বিচার পায়নি কিশোরীর পরিবার। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আদালতের নির্দেশে ভূমিষ্ঠ শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে ওই মেয়েশিশুটি হাসেম আলীর বলে প্রমাণ মেলে।এ রায়ের পর সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কিশোরী থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সেই নারী। | 396,919 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০২ মার্চ ২০১৭, ০২:০৬ | ০২ মার্চ ২০১৭, ০২:০৭ | -1 | 0 | তামিলদের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1094806 | শ্রীলঙ্কার তামিল বিদ্রোহ দমনের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ তদন্তে জাতিসংঘের কাছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও সময় চাওয়ায় সেখানের সংখ্যালঘু তামিলদের প্রধান দল তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স গতকাল বুধবার সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেছে, এই যুদ্ধাপরাধ তদন্তে সরকার কিছুই করেনি। উল্লেখ্য, তামিল বিচ্ছিন্নতাকামীদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সরকারের ৩৭ বছরের গৃহযুদ্ধে অন্তত এক লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটে। তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স চাইছে, কলম্বোকে জবাবদিহির আওতায় আনা হোক। এএফপি | 298,648 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫২ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৫ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | জুতার গুদামে আগুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/782962 | চট্টগ্রাম নগরের স্টেশন রোড এলাকায় নূপুর মার্কেটের তিন তলায় অবস্থিত একটি জুতার গুদাম আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইয়াহিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে গতকাল বেলা ১টার দিকে পারফেক্ট বাজারের জুতার গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেল চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে গুদামের প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। | 205,883 |
যশোর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৩০ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৩১ | যশোর,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | যশোর জিলা স্কুলের মিলন মেলা ভাঙল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/148333 | আড্ডা, হাসি, গান আর শৈশবের স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে যশোর জিলা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের দুই দিনের মিলনমেলা গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে।সকাল সাড়ে আটটায় স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান। এতে অংশ নেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দ। শহর ঘুরে শোভাযাত্রাটি আবার অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে শেষ হয়। এর পর সারা দিনই চলতে থাকে প্রাক্তন ছাত্রদের স্মৃতিচারণা, খেলাধুলা, আড্ডা, রক্তদান কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।স্মৃতিচারণা করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মনিরুজ্জামান, মেজর জেনারেল (অব.) জামিল উদ্দীন আহসান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এ এম জাকারিয়া, কৃষিবিদ আবদুল মাজেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ১৯৯২ সালের ব্যাচের পক্ষ থেকে মামুন স্মৃতি বৃত্তি দেওয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঁচ মেধাবী ছাত্রকে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রতিবছর এ বৃত্তি দেওয়া হবে বলে ব্যাচের পক্ষ থেকে শুভঙ্কর গুপ্ত ঘোষণা দেন।নবীন প্রবীণ এক প্রাণ—স্লোগান সামনে রেখে শুক্রবার বিকেলে যশোর জিলা স্কুলের ১৭৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন এবং প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলনী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। | 51,703 |
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মে ২০১৯, ১৯:৪৯ | ১৯ মে ২০১৯, ১৫:২২ | নারায়ণগঞ্জ,অপরাধ,চাঁদাবাজি,ঢাকা বিভাগ,সিদ্ধিরগঞ্জ | 0 | সিদ্ধিরগঞ্জে ৫ ভুয়া ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1594635 | নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভুয়া ডিবি পরিচয়দানকারী দুই নারী সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি উত্তরপাড়া কবরস্থান এলাকার রমিজউদ্দিন ভিলার তৃতীয়তলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডিবি পুলিশের ভিজিটিং কার্ড, ডিবি লেখা জ্যাকেট ও পুলিশের ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়েছে।গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ ব্যক্তি হলেন—নারায়ণগঞ্জ শহরের হাজীগঞ্জ এম সার্কেস এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন পায়েল (৩৫), শহরের জিমখানা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাইফ আহম্মেদ (২৭), শহীদ নগর এলাকার শুকুর সরদারের ছেলে সুমন আহম্মেদ, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি এলাকার মো. হানিফের মেয়ে সাথী (২৫) ও নেত্রকোনা জেলার কাটলি এলাকার মুনসুর আলীর মেয়ে নাজমা আক্তার (২৬)। ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) জলিল মাদবর জানান, সংঘবদ্ধ একটি চক্র ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছিল। শুক্রবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, চক্রটি পাঠানটুলি উত্তরপাড়া কবরস্থান এলাকার রমিজউদ্দিন ভিলার বসে চাঁদাবাজি করার পরিকল্পনা করছে। এ সময় ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে জানান, আটক ভুয়া পুলিশ পরিচয়দানকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। | 402,404 |
প্রিয়াংকা কুন্ডু | education | শিক্ষা | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৫১ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৪ | স্বপ্ন নিয়ে | 0 | যুক্তিতর্কে চেতনার বিকাশ | http://www.prothom-alo.com/education/article/1079241 | ‘মানুষ সব সময় তার নিজের অবস্থান থেকে একটি সমস্যা বা বিষয়কে ব্যাখ্যা করে। সাধারণত সে নিজের অবস্থানের বিপরীত দিকটি খুব কমই ভাবে। কিন্তু বিতর্ক এমন একটা জায়গা, যেখানে উল্টো দিকের অভিমতটিও জানা যায়, বোঝা যায়। সুযোগ থাকে চেতনা বিকাশের।’ বিতর্ক নিয়ে এমনটাই ভাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ অব ডিবেটরসের মেঘমল্লার বসু।সম্প্রতি হয়ে গেল নটর ডেম কলেজের বিতর্ক সংগঠন আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘২৮তম এনডিসি ন্যাশনালস’-এর আসর। তর্কের লড়াইয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গ্রুপ অব ডিবেটরস। দলটির সদস্যরা হলেন মেঘমল্লার বসু, অমিত প্রামাণিক ও নাহিয়ান বিন খালেদ।এই তিন বিতার্কিকের বিতর্ক চর্চার সূচনা হয়েছে বহু আগেই। অর্জনের পাল্লাও বেশ ভারী। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গ্রুপ অব ডিবেটরসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগেও তাঁদের ব্যক্তিগত অর্জন অনেক। তিনজনই লেখাপড়ার পাশাপাশি বিতর্ককে জীবনেরই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মানেন।দলের অগ্রজ নাহিয়ান বিন খালেদ অর্থনীতি বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ছেন। তিনি বিতর্ক করছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। জানালেন, স্কুলে পড়ার সময় ১৩টি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। স্কুল পর্যায়ে অংশ নেওয়া জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কেও ছিনিয়ে এনেছেন সেরার মর্যাদা। স্কুলের এই ‘খুদে বিতার্কিকের’ তর্কের চর্চা থামেনি কলেজে এসেও। কলেজ পর্যায়ে নয়টি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন নাহিয়ান। বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের দেওয়া ২০০৯-১১ সালে কলেজ পর্যায়ে সেরা বিতার্কিকের পুরস্কার পান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও যে তিনি বিতর্কের সঙ্গেই থাকবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক! ২২তম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের হয়েও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি।বিতর্ক প্রসঙ্গে নাহিয়ানের বক্তব্য, ‘একান্তই ভালো লাগার জায়গা থেকে বিতর্ক করি। বিতর্কের মঞ্চই আমাকে সম্পর্ক উন্নয়নের জায়গা করে দিয়েছে।’অর্জনের ঝুলি ভারী মেঘমল্লারেরও। সংসদীয় বিতর্কে কলেজ পর্যায়ে সেরা হয়েছেন চারবার। বারোয়ারি বিতর্কে দুটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আছে তাঁর ঝুলিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মেঘমল্লার তিনটি বিতর্কে ডিবেটর অব দ্য টুর্নামেন্ট খেতাব অর্জন করেন। এ ছাড়া দলীয় বিতর্কে সেরা হন আরও একটিতে। মেঘমল্লার এখন পড়ছেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে।অমিত প্রামানিক এই দলের অন্যতম সদস্য। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর অর্জনের তালিকাও বেশ লম্বা। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হওয়ার সম্মানসহ জিতেছেন ১১টি চ্যাম্পিয়নশিপ। কলেজ পর্যায়ে এসে অমিত আটটি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছেন। অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও অব্যাহত রেখেছেন বিজয়ের ধারা। বিতর্ক নিয়ে গল্পের ফাঁকে অমিত বলেন, ‘আমরা যা ভাবছি, তা অন্যকেও ভাবানোর সুযোগ আসে বিতর্কের মাধ্যমে। বিতর্ক হলো বাক্স্বাধীনতা চর্চার জায়গা।’এই তিন বিতার্কিকের সমন্বিতভাবে ২৮তম এনডিসি ন্যাশনালসই প্রথম বিতর্ক। প্রথমবারেই বোঝাপড়াটা দারুণ ছিল বলে তাঁরা মনে করেন। এনডিসি ন্যাশনালসের ২৮তম আসরের পর্দা উঠেছিল জানুয়ারির ২১ তারিখ। প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নটর ডেম কলেজ। এবার প্রতিযোগিতাটিতে অংশ নিয়েছিল সারা দেশের ১৩টি বিতর্ক সংগঠন। | 292,926 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৪ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৮ | বিশ্লেষণ | 0 | চালকলে অভিযানে বাজার অস্থিতিশীল হতে পারে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1324841 | ১০ বছর পর চাল নিয়ে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে প্রধান এই খাদ্যপণ্যের দাম উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে আমদানি করছে, সেখানেও দাম বেড়েছে। আগামী মে মাস নাগাদ বোরো মৌসুমের চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত চালের বাজারে স্বস্তি ফেরার আশা দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কাজী সাহাবউদ্দিন, যিনি ১৯৯৮ সালে বন্যার পর দেশে খাদ্যসংকটকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইফতেখার মাহমুদ ও রাজীব আহমেদপ্রথম আলো: দেশে প্রতিবছর আশ্বিন-কার্তিক মাসে চালের দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এ বছর অনেক আগে থেকেই দাম বাড়ছে। এটা কেন হলো বলে আপনার মনে হয়?কাজী সাহাবউদ্দিন: এটা হয়েছে হাওরে ফসলের ক্ষতি ও পরবর্তী বন্যায়। গত বোরো মৌসুমে প্রায় ২০ লাখ টন চাল কম উৎপাদিত হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। চালের দাম মে মাস থেকেই বাড়তে শুরু করে। তখনই যদি সরকার থেকে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে আজকের পরিস্থিতি তৈরি না-ও হতে পারত। কারণ তখন আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কম ছিল। এরপর কিন্তু সরকারের মজুত একেবারে কমে গেল। সাধারণত দেখা যায়, সরকারের মজুত কমে গেলে খোলাবাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। বেসরকারি খাত কিন্তু জানে, সরকারের মজুত কত। কিন্তু বেসরকারি খাতে মজুত কত, তা কিন্তু সরকারের অজানা। যদিও ২০১৩ সালে একটি আইন করা হয়, বেসরকারি খাতে মজুত কত, সে হিসাব তারা প্রতি মাসে দেবে। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত হয়নি।প্রথম আলো:চাল এখন বেশি আসছে মূলত ভারত থেকে। এ দেশের মানুষের খাওয়ার উপযোগী সেদ্ধ চাল কেনার উৎস কোন কোন দেশ হতে পারে?কাজী সাহাবউদ্দিন: সব দিক বিবেচনায় ভারতই আমাদের জন্য উপযোগী। ওই দেশ থেকে দ্রুত আমদানি করা যায়। কিন্তু ভারত তো চালের দাম বাড়িয়ে দিল। আবার শুনছি, তারা আড়াই মাস রপ্তানি বন্ধ রাখবে। যদিও এর সত্যতা আমি জানি না।প্রথম আলো:এ রকম একটি চিঠি বেনাপোল বন্দরে ব্যবসায়ীদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এটি ঠিক না। ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করেনি।কাজী সাহাবউদ্দিন: ভারতের তো রপ্তানি করার কোনো বাধা নেই, তাদের তো মজুত বেশ ভালো। তবে ভারত অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে। আমরা শুল্ক কমালাম, কিন্তু তারা দাম বাড়িয়ে দিল। এতে চালের দামে যে প্রভাব পড়ার কথা, সেটি পড়েনি।প্রথম আলো: ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে কি চাল আমদানি সম্ভব?কাজী সাহাবউদ্দিন: এটা তো ভারত সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের আমদানি না, আমদানি করছে বেসরকারি খাত। রপ্তানি করছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা।প্রথম আলো: ভারত সরকার বাংলাদেশের কাছে প্রতি টন চালের দাম ৬০০ ডলার চাইছে, যা অন্যান্য দেশে ৪৫০ ডলার। এটা কি রপ্তানি না করার এক ধরনের মূল্যগত বাধা?কাজী সাহাবউদ্দিন: ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু এর প্রতিফলন আমরা খুব বেশি দেখি না। যেমন তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এখনো হয়নি। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আমরা ভারতের যে সমর্থন আশা করেছিলাম, তা-ও পাইনি। চীনও বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে সমর্থন দেয়নি।প্রথম আলো:চালের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এখন কী করা উচিত?কাজী সাহাবউদ্দিন: বেসরকারি চালকল মালিকদের গুদামে অভিযান চালালে পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে বাজার আরও অস্থিতিশীল হবে। আমাদের আমদানি করে মজুত বাড়াতে হবে, সেটা যত দ্রুত সম্ভব। এরপর খোলাবাজারে চাল বিক্রি কর্মসূচি (ওএমএস) চালু করতে হবে এবং তা বেশ বড় আকারে। বেসরকারি খাতকে আমদানির যথেষ্ট প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়েই এ ধাক্কা সামলাতে হবে। কারণ সরকারের পক্ষে এটা সামলানো কঠিন।এখন আমরা একটা সংকটে পড়ে গেছি। এ সংকট কাটাতে হবে আপৎকালীন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। যত উৎস আছে, সেখান থেকে আমদানি করতে হবে। যত কৌশল আছে, তা ব্যবহার করতে হবে।প্রথম আলো: বাংলাদেশে চালের সংকট তৈরি হলো ১০ বছর পর। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংকটকালে দেখা গেল, চাল পাওয়া যাচ্ছে না। এখন আবার বাংলাদেশ আমদানি শুরুর পর দাম বেড়ে গেল।কাজী সাহাবউদ্দিন: সাধারণত আমাদের চালের ঘাটতি থাকে না। বন্যা বা খরার কারণে উৎপাদন কম হলে ঘাটতি হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য, এ বছর বাংলাদেশে উৎপাদন কম হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের আটটি দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে ওই সব দেশে দাম বেড়েছে। এসব দেশে ঘাটতি না হলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ত না। ২০০৮ ও ২০০৯ সালেও এমন হয়েছিল। তখন তো ভারত রপ্তানি বন্ধই ঘোষণা করেছিল। দাম উঠেছিল টনপ্রতি ১ হাজার ডলার। আমরা একটি সংকটের দিকে যাচ্ছি, এখন আমাদের বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে, সেটা যত দামই হোক। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেশ ভালোই আছে। তাই আমদানি করতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।প্রথম আলো: জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মাসিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে সতর্কবার্তা দেওয়া হলো, এটা আসলে কী বোঝাচ্ছে?কাজী সাহাবউদ্দিন: সরকারের যদি টনক না নড়ে থাকে, তাহলে এ সতর্কবাতার মাধ্যমে নড়বে আশা করা যায়।প্রথম আলো: গত কয়েক বছর মোটা চালের দাম কমই ছিল। মনে করা হয়, এতে কৃষকেরা ধান চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। হঠাৎ আবার দাম অনেক বেড়ে গিয়ে ভোক্তার ওপর চাপ বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে আপনার মত কী হবে?কাজী সাহাবউদ্দিন: আসলে চালের দামে একটা ভারসাম্য দরকার। এ ক্ষেত্রে কৃষকের স্বার্থও দেখতে হবে, আবার ভোক্তার কথাও মাথায় রাখতে হবে। বুধবার সংসদে বলা হয়েছে, কেন এত আমদানি হচ্ছে। এতে তো কৃষকদের স্বার্থ ব্যাহত হবে। এতে আমি কিছুটা আশ্চর্য হয়েছি। নিকট-ভবিষ্যতে আমি এ ধরনের কোনো আশঙ্কা দেখতে পাচ্ছি না। এ বছর কৃষকেরা দাম ভালো পেয়েছে, আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছে। এখন ভোক্তাদের দিকে নজর দেওয়ার সময়। আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে, ছোট কৃষকেরা কিন্তু চালের ক্রেতাও। ধান ওঠার পর তারা তা বিক্রি করে দেয়, আবার পরে চাল কেনে।প্রথম আলো:চালের দাম বাড়িয়ে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে, নাকি ধান চাষের উপকরণের মূল্য কমিয়ে উৎপাদন খরচ কম রাখার ব্যবস্থা করা হবে—এ দুই কৌশলের কোনটিকে আপনি যৌক্তিক মনে করেন?কাজী সাহাবউদ্দিন: এ ক্ষেত্রে দুটো কৌশলই ব্যবহার করা দরকার। একদিকে চালের দাম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া দরকার, অন্যদিকে উপকরণ খরচও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সরকার সারসহ অন্যান্য উপকরণের কিন্তু ভর্তুকি দিচ্ছে।প্রথম আলো: বেনাপোল বন্দরে জটের কারণে চাল খালাসে ১৮ থেকে ২০ দিন লাগছে। চট্টগ্রাম বন্দরেও একই অবস্থা। এ ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী হবে?কাজী সাহাবউদ্দিন: চালের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে। বন্দরে জটের কারণে যদি ট্রাক ভাড়া বেড়ে যায়, সেই প্রভাব চালের দামেও পড়ে।প্রথম আলো:আমাদের আগামী বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসতে তো এপ্রিল-মে মাস লেগে যাবে।কাজী সাহাবউদ্দিন: এ সময়ে সরকার কীভাবে চালের সংকট সামাল দেয়, সেটাই দেখার বিষয়। | 338,670 |
আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মে ২০১৪, ০১:১৮ | ১০ মে ২০১৪, ০১:২৩ | রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | আউশে কৃষকের প্রণোদনা আটকা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/212290 | বিনা মূল্যে সার ও বীজ বিতরণ কর্মসূচির আওতায় আউশ প্রণোদনা বিতরণের সময় পার হয়ে গেলেও রাজশাহীর দুই উপজেলার কৃষকেরা তা পাননি৷ উপজেলা দুটি হলো তানোর ও গোদাগাড়ী৷ অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা কৃষি কমিটির জমা দেওয়া তালিকা কাটাকুটি করে নিজ দলের পছন্দের লোকদের নাম ঢুকিয়েছেন৷ আবার কোথাও আলাদা নামের তালিকা জমা দিয়েছেন৷ কৃষি কমিটি এখন আর এই পরিবর্তিত তালিকা অনুমোদন করছে না৷ এতে প্রণোদনা বিতরণও সম্ভব হচ্ছে না৷কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী সূত্রে জানা গেছে, আউশ প্রণোদনার জন্য গত ৪ মার্চ জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উফশী ধানের জন্য জেলার ১০ হাজার ৮৮০ এবং নেরিকা ধানের জন্য ৯৫০ জন কৃষককে এই প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য নগদ ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ধরনের ৪৭২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ করা হয়। এই বরাদ্দ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিতরণ শেষ করার কথা ছিল। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে সাতটিতে সেই বরাদ্দ বিতরণ সম্পন্ন হলেও তানোর ও গোদাগাড়ীতে বিতরণ বন্ধ রয়েছে৷খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ীতে নয়টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় উফশী ধানের জন্য তিন হাজার ১২০ ও নেরিকা ধানের জন্য ২৭০ জন এবং তানোরে সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা এলাকায় উফশী ধানের জন্য এক হাজার ৩৫০ জন ও নেরিকা ধানের জন্য ১২০ জন কৃষকের মধ্যে এই প্রণোদনা বিতরণ করার কথা। প্রত্যেক কৃষক নেরিকার জন্য নগদ ৬০০ টাকা, উফশীর জন্য ৩০০ টাকা এবং ২০ কেজি করে ইউরিয়া ও ১০ কেজি করে ডিএিপ ও এমওপি সার পাবেন। সুষ্ঠুভাবে প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সভাপতি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে একটি কমিটি এবং প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যানকে সভাপতি ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে অপর একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে স্থানীয় সাংসদ মনোনীত চার সদস্যও রয়েছেন।নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন কমিটিগুলো মনোনীত কৃষদের তালিকা অনুমোদন করেছে। এতে সাংসদের মনোনীত সদস্যরাও স্বাক্ষর করেছেন। তারপর তাদের অনুমোদিত তালিকা তারা উপজেলা কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। এই তালিকা উপজেলা কমিটিতে অনুমোদনের আগেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে ওই তালিকার ফটোকপি সংগ্রহ করেন। তাঁরা তালিকা কাটছাঁট করে তাঁদের নিজেদের পছন্দের লোকজনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন৷জানা গেছে, এই তালিকা ইউপি চেয়ারম্যানরা অস্বীকার করেছেন। কৃষি কমিটি অনুমোদিত তালিকা ঠিক না রাখলে তাঁরা মানবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে দুই উপজেলায় প্রণোদনা বিতরণে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।গোদাগাড়ী উপজেলার প্রসাদপুর গ্রামের কৃষক কুতুবুদ্দিন বলেন, আবাদের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখনো তাঁরা সরকারের প্রণোদনা পাননি। অসময়ে এই টাকা আর সার নিয়ে তাঁদের কোনো কাজে আসবে না। সরকারের এই ভালো উদ্যোগটারও কোনো মূল্যায়ন হবে না।গোদাগাড়ীর ইউএনও খালিদ হোসেনের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, সাংসদ দেশের বাইরে আছেন। তিনি এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম অবশ্য বলেছেন, উপজেলার বেশির ভাগ ইউপির চেয়ারম্যান বিএনপির। তাঁরা আওয়ামী লীগ-সমর্থক কৃষকদের বাদ দিয়ে বেশির ভাগ তাঁদের দলের লোকের নাম তালিকায় দিয়েছেন। তাই স্থানীয় সাংসদ তালিকায় কৃষকের সমতা আনার জন্য আরেকটি তালিকা দেওয়ার জন্য নেতাদের বলেছেন। সেটা দেওয়া হয়েছে। | 72,161 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:১৪ | ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:১৪ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ হলে এমপিওভুক্তির বিড়ম্বনা থাকবে না | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1063183 | বেসরকারি শিক্ষকদের বঞ্চিত রেখে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধায় যেসব বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করতে হবে। এতে শিক্ষাব্যবস্থার মানও উন্নত হবে। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে এমপিওভুক্তির বিড়ম্বনা আর থাকবে না।শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ এবং ছয় দফা দাবিতে বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে নগরের জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অংশ নেন।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, দেশের ৯৫ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দিয়ে। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষকেরা অর্থনৈতিক ও পেশাগত বৈষম্যের শিকার। তাঁদের নামমাত্র বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়। মূল বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। এ ছাড়া পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, পেনশন সুবিধা ও বৈশাখী ভাতা পান না।মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক-কর্মচারী জনবল কাঠামোর জাঁতাকলে পড়ে এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। এতে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ করলে এই দুরবস্থার অবসান হবে।শিক্ষক সমিতির ছয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো অনুযায়ী বার্ষিক ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা, সরকারি বিধি অনুযায়ী বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, বৈশাখী ভাতা দেওয়া, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান ইত্যাদি।সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সৈয়দ লকিতুল্লাহের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম, দপ্তর সম্পাদক ইকবাল হোসেন, উপদেষ্টা সুনীল চক্রবর্তী, সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, কক্সবাজার শাখার সভাপতি মুজিবুর হক, নোয়াখালী শাখার সভাপতি আবুল কাশেম, ফেনী শাখার সভাপতি শহীদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শিমুল মহাজন ও আলতাজ মিয়া।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। এরপর শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়। বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা। | 285,274 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জুলাই ২০১৬, ০২:১৭ | ১৮ জুলাই ২০১৬, ০২:২৪ | রাজধানী (জাতীয়) | null | শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবিরোধী কমিটি গঠন করতে হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/917899 | জঙ্গিবাদ দমনে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। এ জন্য দরকার সমন্বিত প্রয়াস।রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল রোববার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও মালিকদের সঙ্গে সরকারের এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান উঠে আসে। সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এ মতবিনিময় সভায় ২০ জনের বেশি বক্তা বক্তব্য দেন। সভায় ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক ও উপাচার্যদের বেশির ভাগই উপস্থিত ছিলেন।গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় অংশ নেওয়া তরুণদের মধ্যে কয়েকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। সন্দেহভাজন হিসেবে নিখোঁজ কয়েকজনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিবাদ দমনের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার ব্যবস্থাপনায় ছিল বাংলাদেশ পুলিশ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার সঙ্গেও বৈঠক করবে সরকার। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে আলাপে বলেন, এত দীর্ঘ সময় বক্তব্যপর্ব না চালিয়ে বরং জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিলে সেটা হয়তো বেশি কার্যকর হতো। মতবিনিময় সভায় মুক্ত আলোচনার সুযোগ না রাখায় নির্ধারিত বক্তাদের বাইরে কেউ কথা বলতে পারেননি। নির্ধারিত আলোচনাতেও সরকারের ব্যক্তিরাই বেশি সময় কথা বলেছেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে উগ্রবাদের চর্চা হয়েছে, যাতে কিছু শিক্ষার্থী বিপথগামী হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি দমনের জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করা হবে। সভাপতির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার ব্যাপারে সরকারের কাছে আগাম গোয়েন্দা তথ্য ছিল। গুলশানের ঘটনা ঘটার তিন মিনিটের মাথায় সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ আধঘণ্টার মধ্যে ঢুকে যেতে পারত। কিন্তু জিম্মিরা তখন কী অবস্থায় ছিলেন, সেটা বিবেচনা করতে হয়েছে। জঙ্গি সন্দেহে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘অল্প কয়েকজন নিখোঁজ আছে। তাদের কে কোথায় আছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরকারের হাতে আছে।’ বিপথগামীদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁরা কঠোর হতে চান না। তবে জঙ্গিরা যদি মনে করে এভাবে হত্যা করে সব বন্ধ করে দেবে, তাহলে ভুল হবে।পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, যদি কোনো উপাচার্য বলে থাকেন জঙ্গিবাদ প্রতিবাদের ভাষা এবং গুলশানের হলি আর্টিজান হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার মরণোত্তর বিচার হওয়া দরকার, তবে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই কাজে (উগ্রপন্থা) প্ররোচিত করেন। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরদারি থাকা দরকার।’র্যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে জানতে চান, ‘জেনেশুনে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষকেরা নিয়োগ পাচ্ছেন? শিক্ষার্থীদের আপনারা কী লক্ষ্য দিচ্ছেন? তারা কীভাবে এত নির্মম নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করছে?’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গন থেকেই তরুণদের ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বারবার সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার খবর উদ্বেগজনক।জঙ্গিবাদ দমনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন মনিরুল ইসলাম। এসবের মধ্যে রয়েছে ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি গঠন, ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তার তথ্য দেওয়া।প্রথমেই কঠোর না হওয়ার অনুরোধ: গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা সবার মুখে কালি মেখে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ বর্তমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ। যারা বিপথে যাচ্ছে তাদের প্রতি প্রথমে শক্ত মানসিকতা পরিহার করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, তাতেও না হলে পরে শক্ত হাতে দমন করা যাবে। জঙ্গিদের ‘ক্যানসার’ উল্লেখ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুল ইসলাম বলেন, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অপারেশন’ করে এই ক্যানসার কেটে ফেলা হবে। তিনি ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন। সরকারের বিভিন্ন করণীয় এর প্রসঙ্গে টেনে স্কলাসটিকার অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কাওছার আহমেদ বলেন, এখানে যেসব করণীয় পালনের কথা বলা হয়েছে, তার প্রায় সব কটি তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন হচ্ছে? নিশ্চয়ই কোথাও ফাঁকফোকর রয়েছে। এই ফাঁকফোকর চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে জঙ্গিবাদ না থাকে, সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবীর হোসেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরব রাজনীতি চায় ছাত্রলীগ: মতবিনিময় সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্যই সরব রাজনীতি থাকতে হবে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি উন্মুক্ত হোক। পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আবদুল মান্নান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক শামীম, মানারত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান প্রামাণিক। | 241,041 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:১২ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:১৫ | হলিউড | 0 | ঝুঁকিতে ডেমির পাহাড়ি বাড়ি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1071997 | হলিউডের পাহাড়ে বাস করার স্বাদ ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন মার্কিন সংগীততারকা ডেমি লোভাটো। বিচ্ছিরি স্বাদ! লস অ্যাঞ্জেলেসের লরেল ক্যানিয়ন এলাকায় গত সেপ্টেম্বরে ৮.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে একটি বাড়ি কিনেছেন এই তারকা। কিন্তু হায়! এই দামি বাড়িতে থাকার সৌভাগ্য মনে হয় হলো না ডেমির। কেননা বাড়িটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে স্থানীয় পুলিশ সোমবার রাতে তাতে ‘লাল ফিতা’ বেঁধে দিয়েছে। পাহাড়ের গা ঘেঁষে তৈরি এই বাড়ি কিছুদিন আগে ঝড়ের কবলে পড়েছিল। বাড়ির নড়বড়ে ভিত্তির কারণে এর এক অংশ ভেঙে পাহাড়ের পড়ে যায়। কী ভয়ানক! ডেমি-ভক্তরা হয়তো ভাবতেই পারছেন না যদি তিনি ওই বাড়িতে তখন থাকতেন! না, তিনি ছিলেন না। এখন হয়তো বাড়িটা বিক্রির পরিকল্পনা করছেন ডেমি। কিন্তু ভাবনার বিষয় এই যে, চড়া বাড়ির দাম কি চড়া হবে? টিএমজে | 288,988 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৭:৫২ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৮:৫৭ | নারায়ণগঞ্জ,আইন ও বিচার | 0 | গৃহবধূ হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/627820 | নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গৃহবধূ মাসুমা আক্তার হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মিয়াজী শহিদুল আলম চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এম এ রহিম।দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন নুরে আলম, সোহেল ও সাব মিয়া। তাঁদের মধ্যে সোহেল পলাতক রয়েছে।আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল আড়াইহাজারে গৃহবধূ মাসুমা আক্তার বাড়ির পাশের একটি দোকানে কেনাকাটা করতে যান। সেখানে দোকানদার নুরে আলম, সোহেল ও সাব মিয়া মিলে তাঁকে দোকানের ভেতর নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে আসামিরা তাঁকে হত্যা করে বস্তা দিয়ে লাশ পেঁচিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নুরে আলমকে গ্রেপ্তার করলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে এ মামলায় পুলিশ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে সাব মিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। | 167,448 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৪ মার্চ ২০১৯, ১৩:৪৬ | ০৪ মার্চ ২০১৯, ১৪:৩৬ | ফুটবল,দেশের ফুটবল | 0 | মার্চে দম ফেলার সময় থাকবে না জেমি ডের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1581837 | প্রায় পাঁচ মাস অলস সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। কিন্তু চলতি মার্চ মাসে তাঁর ব্যস্ততা থাকবে অনেক। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ, এরপর কাতারে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রস্তুতিমূলক সফর, ২২ মার্চ বাহরাইনে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপগত বছরের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর গত পাঁচ মাস এক প্রকার বসেই কাটিয়েছেন দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। মার্চ মাসে ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে তাঁকে। আগামী ৯ মার্চ কম্বোডিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ জাতীয় ফুটবল দলের। এরপর অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে কাতারে প্রস্তুতিমূলক সফর এরপর বাহরাইনে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ। এ মাসে দম ফেলার সুযোগ নেই তাঁর।৬ তারিখ কম্বোডিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে জাতীয় ফুটবল দল। ৯ মার্চ ম্যাচ খেলে ১১ মার্চ দেশে ফিরবে দল। এর দশ ঘণ্টা পরেই অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে কাতার রওনা হবেন জেমি। সেখানে প্রস্তুতি ক্যাম্পের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে যুবদল। সেখান থেকেই বাহরাইনে পা রাখতে হবে তাঁকে। ২২ মার্চ এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম খেলা স্বাগতিক বাহরাইনের বিপক্ষে। পরের দুটি খেলা যথাক্রমে ২৪ মার্চ ফিলিস্তিন আর ২৬ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।কম্বোডিয়া ম্যাচের জন্য ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করার কথা আগামীকাল। লিগ চলায় এ ম্যাচের জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। এতে অবশ্য সমস্যা দেখছেন না জেমি, ‘ছেলেরা খেলার মধ্যে আছে। নিয়মিত অনুশীলন হচ্ছে ক্লাবে। কাজেই আমি মনে করি না কম্বোডিয়া ম্যাচের জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিতে না-পারা কোনো সমস্যায় ফেলবে। তা ছাড়া ফুটবলারদের ওপর আমার আস্থা আছে।’ | 392,568 |
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:০৩ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৯:১৯ | সিলেট বিভাগ,আইন ও বিচার,হবিগঞ্জ | null | চার শিশু হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার আরও ৩, দুজন রিমান্ডে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/773500 | হবিগঞ্জের বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে।এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি আবদুল আলী ও তাঁর ছেলে জুয়েল মিয়াকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। হবিগঞ্জ বিচারক আদালত বাহুবল-৯ এর বিচারক কাওছার আলম রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান বলেন, চার শিশু হত্যার ঘটনায় গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থান থেকে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন: আবদুল আলীর আরেক ছেলে রুবেল মিয়া (১৮), সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আরজু মিয়া (৪০) ও বশির মিয়া (৪০)।এদিকে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দিয়েছেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোক্তাদির হোসেনকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, চার শিশু হারিয়ে যাওয়ার পর অপহরণ মামলা করা হয়েছিল। আদালতের অনুমতিক্রমে ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার গ্রামের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চার শিশু। তারা হলো মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ (৯), আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০), আবদাল মিয়ার ছেলে মনির (৭) ও আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৮)। জাকারিয়া, তাজেল ও মনির সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। তিনজনই সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ইসমাইল গ্রামের ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র। পাঁচ দিন পর গতকাল বুধবার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে গ্রামের এক ছড়া (ছোট নদী) থেকে বালুচাপা অবস্থায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাকে ‘লোমহর্ষক’ উল্লেখ করে সিলেট অঞ্চলের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হত্যাকারীদের তথ্যদাতার জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।আরও পড়ুন: চার শিশুকে মেরে লাশ বালুচাপা | 202,726 |
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৫ | ০১ মার্চ ২০১৯, ১৫:৩৬ | রাজনীতি,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,ছাত্র সংসদ নির্বাচন | 0 | চাকসু নির্বাচন চেয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1581168 | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। ১৫ দিনব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম দিনে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় অন্তত দুই শ শিক্ষার্থী স্বাক্ষর দেন। এ কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ধীষণ প্রদীপ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ—তা শিক্ষার্থীদের যুক্তির মাধ্যমে বোঝাতেই এ কর্মসূচি। অন্তত দুই শ শিক্ষার্থী চাকসু নির্বাচন চেয়ে স্বাক্ষর করেছেন। আশা করি শিক্ষার্থীরা চাকসু নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় হবেন। কারণ শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে চাকসু নির্বাচনের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত কামাল বলেন, ‘চাকসু কার্যকর থাকলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক চর্চা অব্যাহত থাকত। কিন্তু দীর্ঘদিন চাকসু ভবন ক্যানটিন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যোগ্য নেতাও তৈরি হচ্ছে না।’এর আগে গত মঙ্গলবার অবিলম্বে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এ সময় ছয়টি দাবি উত্থাপন করা হয়। পাশাপাশি দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬ মার্চ বিক্ষোভ মিছিলসহ ১২ মার্চ ক্যাম্পাসের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে কবিতা পাঠের আসর বসবে। | 392,096 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:১৫ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:১৫ | আরব বিশ্ব | 0 | মিসরে হুমকি হয়ে উঠছে আনসার | http://www.prothom-alo.com/international/article/151972 | আনসার বেত আল-মাকদিস। গত কয়েক বছরেই যথেষ্ট শক্তি অর্জন করেছে মিসরের সিনাইয়ে ঘাঁটি গড়ে তোলা কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠী। প্রেসিডেন্ট মুরসির পতনের পর সেনাবাহিনী ও বিদেশি পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়ে নিজেদের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা দেখিয়েছে তারামিসরে সিনাই মরুভূমির প্রত্যন্ত অঞ্চলে শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছে ইসলামি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী আনসার বেত আল-মাকদিস। আত্মঘাতী হামলাসহ নানা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে ইতিমধ্যে মিসরের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে এই গোষ্ঠী। কিন্তু মিসরের সেনাসমর্থিত সরকার আনসারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে নামেনি। ফলে ধীরে ধীরে পাশ্চাত্যের জন্যও হুমকি হয়ে উঠছে এই গোষ্ঠী।এই মুহূর্তে মিসরের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করছে আনসার। পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের অপহরণের পাশাপাশি তাদের ওপর হামলাও চালাচ্ছে।গত বছরের জুলাইয়ে ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই হামলা বাড়িয়ে দেয় কট্টরপন্থী ওই সংগঠন। এসব হামলায় পুলিশ, সেনাসদস্যসহ শত শত মানুষ নিহত হয়।বিশ্লেষকেরা বলছেন, আনসার এখনো এত বেশি শক্তি অর্জন করতে পারেনি যে তারা আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি মিসরের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করবে। তবে এটা ঠিক, নতুন কৌশল হিসেবে বিদেশি পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়ে বা অপহরণ করে মিসরের পর্যটনশিল্পে ধস নামানোর ক্ষমতা রাখে আনসার। আর সেটা করলেই এর প্রভাব পড়বে মিসরের অর্থনীতিতে। যা সরকারে জন্য হবে বড় এক আঘাত।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান স্ট্রাটফর এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘আনসার বেত আল-মাকদিস দ্রুতই বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় জিহাদি সংগঠনগুলোর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। গোষ্ঠীটির শক্তি দেখে মনে হয়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে এর সম্পৃক্ততা রয়েছে।’সিনাইয়ের তাবা এলাকায় গত রোববার আত্মঘাতী হামলায় দক্ষিণ কোরিয়ার দুই পর্যটকসহ তিনজন নিহত হয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে আনসার। ঘটনার পর ওই এলাকা ছাড়াও আরও কিছু এলাকা থেকে বিদেশি পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়।গত সোমবার আনসারের এক বিবৃতিতে বিদেশি পর্যটকদের মিসর ছেড়ে চেল যেতে বলা হয়। তা না হলে হামলার মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়।২০১১ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর আনসার ধ্বংসাত্মক সংগঠন হিসেবে শক্তি অর্জন করে। মোবারকের পতনের পর মোহাম্মদ মুরসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ও তাঁর পতন এবং এরপর মিসরে চলমান অস্থিতিশীলতাকেই পুঁজি করে শক্তিশালী হয় আনসার। কারণ, এই সময় কেন্দ্রীয় সরকার সিনাইয়ের দিকে সক্রিয়ভাবে নজর রাখতে পারেনি। আর এতেই ইসরায়েল, গাজা উপত্যকা ও সুয়েজ খাল ঘেরা ৬১ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার সিনাইয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয় সংগঠনটি।সিনাই মরুভূমিতে নিজেদের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে অস্ত্র চোরাচালানি চক্র ও ছোট ছোট কিছু কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গেও জোট বেঁধেছে আনসার।মিসরের সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, আনসারের সঙ্গে সম্প্রতি নিষিদ্ধঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তাদের দমনে কাজ করছে সরকার।বিশ্লেষকদের মতে, এখনো পাশ্চাত্যের দেশগুলো আরব বিশ্বের মধ্যে মিসরকেই নিজেদের কৌশলগত বড় অংশীদার বলে মনে করে। তাই আনসার বেত-আল মাকদিস মিসর অস্থিতিশীল করে তুললে তা পাশ্চাত্যের জন্যই হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। | 53,117 |
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৩৪ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৩৭ | মৌলভীবাজার,শ্রীমঙ্গল,দুর্ঘটনা | 0 | শ্রীমঙ্গলে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে চালক নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1422631 | মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত ও সাত যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর চৌমুহনা সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মণ্ডল বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে হবিগঞ্জগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ আটজন গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে চারজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসের চালক মিজানুর নিহত হন।আহত ব্যক্তিদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। | 353,588 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৩৭ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৪২ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | null | হাতিরঝিলে নতুন তিনটি ওয়াটার ট্যাক্সি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1395371 | চালুর পর থেকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সির বহরে যুক্ত হয়েছে আরও তিনটি জলযান। এ নিয়ে হাতিরঝিলের এফডিসি প্রান্ত থেকে রামপুরা ও বাড্ডা লিংক রোড পর্যন্ত চলাচলকারী ওয়াটার ট্যাক্সির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে।গত বছরের বিজয় দিবসে হাতিরঝিলে যাতায়াতের নতুন একটি মাধ্যম হিসেবে এই ওয়াটার ট্যাক্সি সেবা চালু হয়। শুরুতে বহরে ট্যাক্সির সংখ্যা ছিল চারটি। কিছুদিনের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১০টিতে উন্নীত করা হয়। হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ বলছে, এরপরও চাহিদার তুলনায় ট্যাক্সির সংখ্যা কম হওয়ায় এই পথে যাতায়াতকারী ব্যক্তিদের অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি নতুন ট্যাক্সিগুলো বহরে যুক্ত করা হয়েছে।হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (রাজউক অংশ) জামাল আকতার ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, নতুন যুক্ত হওয়া ওয়াটার ট্যাক্সিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির আসনসংখ্যা ৮০টি। অন্য দুটির একটিতে ৫০ জন ও আরেকটিতে ৪২ জন বসার ব্যবস্থা আছে।এই সেবা চালুর পর থেকে বাড্ডা, গুলশান, রামপুরা, খিলগাঁওসহ নগরীর পূর্বাংশের মানুষ যানজটের ঝক্কি এড়িয়ে কারওয়ান বাজার, মগবাজার, দিলু রোড, ইস্কাটন, বাংলামোটর, তেজগাঁও এলাকায় সহজে যাতায়াত করতে পারছেন। এ জন্য এফডিসি, গুলশান-১ ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ট্যাক্সির তিনটি টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার এফডিসি মোড়সংলগ্ন টার্মিনালে কথা হয় রামপুরার বাসিন্দা রফিকুল হকের সঙ্গে। কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ওই ব্যক্তি বলেন, ‘হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি চালু হওয়ার পর থেকেই আমি এর নিয়মিত যাত্রী। কিন্তু এই পথে যাত্রীসংখ্যা বেশি হওয়ায় আসন পাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হতো। নতুন তিনটি ট্যাক্সি চালু হওয়ার পর থেকে অপেক্ষার সময় খানিকটা কমেছে।’ | 349,379 |
অমর সাহা, কলকাতা | international | আন্তর্জাতিক | ১৩ জুলাই ২০১৬, ২১:১৪ | ১৩ জুলাই ২০১৬, ২১:১৭ | ভারত | null | ৩৩২ কেজি ওজনের শিঙাড়া! | http://www.prothom-alo.com/international/article/913123 | আমরা যে শিঙাড়া খাই, তার ওজন আর কতই বা হতে পারে। সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত, কিংবা এর চেয়ে কমবেশি পর্যন্ত আমরা ভাবতে পারি। কিন্তু ভারতের উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার গোপালনগর এলাকার ১০ তরুণ একটি শিঙাড়া বানিয়েছেন, যা ওজনের ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলেছে। ওই শিঙাড়ার ওজন ৩৩২ কেজি।এই শিঙাড়া বানানো দলের নেতৃত্বে ছিলেন ২০ বছরের তরুণ রীতেশ সোনি। রীতেশরা এখন বিশ্বরেকর্ড গড়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন। তাঁদের নাম উঠতে চলেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। এর আগে অবশ্য ইংল্যান্ডের ব্রাডফোর্ড কলেজ ২০১২ সালে ১১০ দশমিক ৮ কেজি ওজনের শিঙাড়া বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল।এবারের এই শিঙাড়াটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৫ দিন। খরচ হয়েছে ৪০ হাজার রুপি। তৈরি করতে লেগেছে ৯০ লিটার তেল, ১৭৫ কেজি ময়দা, ২০০ কেজি আলু।রীতেশ বলেছেন, গত বছর তাঁর জেলার কাঠারিবাজার এলাকার একদল তরুণ বিশ্বের বৃহত্তম জিলাপি তৈরি করে গিনেস বুকে নাম তুলেছিলেন। এবার তাঁরা বিশ্বের বৃহত্তম শিঙাড়া বানিয়ে গিনেস বুকে নাম ওঠাতে চান। | 239,435 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২১:২০ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২১:২২ | -1 | null | ‘খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাননি’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1427236 | জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের ২০১ জন আইনজীবী নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, খালেদা জিয়া এ মামলায় ন্যায়বিচার পাননি। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে বিচারক এ রায় দিতে বাধ্য হয়েছেন।আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের ২০১ জন আইনজীবী এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে ৫০ জন আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, যে অভিযোগে খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এর সঙ্গে খালেদা জিয়ার ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই। বিচারের বিভিন্ন পর্যায়ে এটি দেশের জনগণের কাছে সুস্পষ্ট হয়েছে। বিবৃতিতে আইনজীবীরা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বানোয়াট, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁরা আশা করেন, খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার ফলে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যকার দূরত্ব আরও চরম আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিবৃতিদাতারা। তাঁরা বলেন, এর ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে পরিণত করার উদ্যোগ তৈরিতে রাজনৈতিক সমঝোতার পরিবেশ ধূলিসাৎ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল। পাশাপাশি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, তা অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে গেল। বিবৃতিদাতা আইনজীবীরা হলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক সাইদুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্য গোলাম আরশাদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি ফাহিমা নাসরিন, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম, এ কে এম এহসানুর রহমান, মীর হেলাল প্রমুখ। | 354,255 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০৬ জুলাই ২০১৪, ২৩:৩৫ | ০৬ জুলাই ২০১৪, ২৩:৪১ | টেনিস | null | উইম্বলডনের শিরোপা জোকোভিচের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/260425 | পারলেন না রজার ফেদেরার। উইম্বলডনের ফাইনালে আজ রোববার সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচের কাছে হেরে গেলেন সুইস তারকা।আজ জোকোভিচকে হারাতে পারলে ক্যারিয়ারের ১৮তম শিরোপা জিততেন রজার ফেদেরার। ২০১২ সালে এই উইম্বলডনেই ক্যারিয়ারের সর্বশেষ গ্রান্ড স্লাম শিরোপা জিতেছিলেন ফেদেরার।এদিকে আজ রজার ফেদেরারকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় উইম্বলডন শিরোপা ঘরে তুললেন জোকোভিচ। প্রায় চার ঘণ্টা (৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট) লড়াই করে ৬-৭, ৬-৪, ৭-৬, ৫-৭, ৬-৪ সেটে রজার ফেদেরারকে হারান তিনি। এটি জোকোভিচের সপ্তম গ্রান্ড স্লাম শিরোপা। ওয়েবসাইট | 75,213 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৯:০৮ | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৯:১৩ | প্রতিষ্ঠানের খবর | 0 | ঈদ উপলক্ষে নভোএয়ারের অতিরিক্ত ফ্লাইট | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1287761 | পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সৈয়দপুর ও যশোর রুটে নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি অতিরিক্ত তিনটি ফ্লাইট চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা নভোএয়ার। এর মধ্যে সৈয়দপুরে দুটি ও যশোরে অতিরিক্ত একটি করে ফ্লাইট চলবে।নভোএয়ারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব অতিরিক্ত ফ্লাইট আগামী ৩০ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে প্রতিদিন চারটি, কক্সবাজারে দুটি, যশোরে দুটি, সিলেটে একটি, সৈয়দপুরে দুটি ও কলকাতায় একটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। | 332,405 |
হাসান ফেরদৌস | opinion | মতামত | ২৫ জুলাই ২০১৬, ০১:৩৬ | ২৫ জুলাই ২০১৬, ০১:৩৮ | হাসান ফেরদৌস,আন্তর্জাতিক,মতামত | null | প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/924553 | গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড শহরে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে যাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তারস্বরে চিৎকার করে টেলিপ্রম্পটার দেখে ভাষণ পড়তে দেখেছেন, তাঁরা সম্ভবত এখনো ঘুমের মধ্যে ভয়ে জেগে ওঠেন। যে আমেরিকার চিত্র ট্রাম্প সে ভাষণে উপস্থিত করেন, তাতে এই দেশের প্রতিটি শহরে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী ওত পেতে বসে আছে কাউকে খুন বা ধর্ষণ করতে। সব বড় শহরে আইনশৃঙ্খলাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কালো মানুষেরা পুলিশের ওপর হামলা করতে বন্দুক নিয়ে ঘুরছে। পাশাপাশি দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, রাস্তাঘাটের এমন হতদরিদ্র অবস্থা যে কখন কোন সেতু ভেঙে পড়ে তা বলা অসম্ভব। এর ওপর রয়েছে আইএস। কখন, কোথায় যে তারা হামলা করবে, তা কেউ জানে না। কেউ আমেরিকাকে ভয় করে না, কেউ তাকে সম্মান করে না।বানিয়ে বলছি না। নিউইয়র্ক টাইমস-এর রক্ষণশীল ভাষ্যকার ডেভিড ব্রুকস সে ভাষণ শোনার পর ট্রাম্পের নাম দিয়েছেন ‘ডার্ক নাইট’। অর্থাৎ বিভীষিকার রাজপুত্র। এ যেন সত্যিকার আমেরিকা নয়, এক ভীষণ ভয়ের হলিউডি ফিল্ম। ট্রাম্পের আমেরিকায় এখন মধ্যরাত্রি, গহন-ঘন এক আঁধার চারদিকে থিকথিক করছে। তবে ভয় পাবেন না, পরিত্রাণের উপায় আছে। তবে সে জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কারণ, এ দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা তাঁর চেয়ে কেউ বেশি ভালো জানেন না। তাঁর চেয়ে অধিক বুদ্ধিমান কেউ নেই, তাঁর চেয়ে অধিক সফল কোনো মানুষও নেই। সবকিছু তুড়ি মেরে তিনি এমনভাবে উড়িয়ে দেবেন যে আগামী বছর ২০ জানুয়ারি তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই সব একেবারে সুনসান ঠিক হয়ে যাবে।আপনারা ভাবতে পারেন লোকটা পাগল নাকি? কিন্তু মজা কী জানেন, সিএনএনে তাঁর ওই ভাষণ শোনার পর প্রতি দশজনের ছয়জন বলেছেন, এই লোককেই তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান। দুই মাস আগেও যদি আমাকে কেউ বলত ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তাহলে হেসে উড়িয়ে দিতাম। এখন হাসার বদলে ভীতি আমাকে গ্রাস করেছে। সত্যি সত্যি এই লোক যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে?ট্রাম্প খুব ভেবেচিন্তে ভীতি ও ত্রাসের এই চিত্রটি আমেরিকার মানুষের সামনে হাজির করেছেন। এই ত্রাসের ছবি এঁকেই তিনি ১৬ জন বাঘা বাঘা রাজনীতিককে কুপোকাত করে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ কাজে তাঁর হাতে ছিল মাত্র তিনটি তাস: অবৈধ অভিবাসন, অসম বাণিজ্য ও ইসলামি সন্ত্রাস। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি দেশের সোয়া কোটি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করবেন। চীন বা মেক্সিকো এখন ওবামা-হিলারির দুর্বল নেতৃত্বের কারণে এ দেশের ওপর অসম বাণিজ্য চুক্তি চাপিয়ে দিয়েছে, তিনি তা বদলে দেবেন। আর হ্যাঁ, আইএস যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তার কারণও প্রেসিডেন্ট ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ামাত্রই ট্রাম্প আইএসের নাম-গন্ধ মুছে ফেলবেন।একদল লোক তাঁর প্রতিটি কথা বেদবাক্য বলে মেনে নিয়েছে। এরা মুখ্যত এ দেশের রক্ষণশীল শ্বেতাঙ্গ নাগরিক। অধিকাংশই পুরুষ, স্বল্পশিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত। গত ১৫ বছরে অব্যাহত অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় তাদের পকেট ফাঁকা হয়ে এসেছে, পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে।এ কথা ঠিক, অর্থনীতির বিশ্বায়নের চাপে আমেরিকার বিপুলসংখ্যক মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, একসময় সেসব কারখানায় কাজ করে ভদ্রভাবে বাঁচা যেত। এখন সেগুলোর কাজ চলে গেছে বিদেশে, কম খরচে মোটর গাড়ি থেকে আলপিন—সবই বিদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। একসময় কয়লাখনিতে চাকরির অভাব ছিল না, এখন সেসব খনি লাটে উঠেছে। এসব মানুষ, যাঁরা একসময় ভাবতেন ‘আমেরিকান ড্রিম’ তাঁদের হাতের মুঠোয়, তাঁদের অধিকাংশই এখন মন্দাবস্থার শিকার। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মানুষগুলোকে নিশানা করেছেন। যদি এঁরা দল বেঁধে তাঁকে ভোট দেন, আগামী বছর ২০ জানুয়ারি তিনি নির্ঘাৎ হোয়াইট হাউসে সদলবলে প্রবেশ করবেন।অধিকাংশ নির্বাচনী পণ্ডিত অবশ্য মনে করেন, শুধু শ্বেতাঙ্গদের ভোটে ট্রাম্পের জয়লাভ অসম্ভব। দেশের মোট ভোটারদের এক-পঞ্চমাংশ হয় আফ্রিকান-আমেরিকান, নয় হিস্পানিক। এদের ২০-৩০ শতাংশ যদি তাঁকে ভোট না দেন, তাহলে তাঁর জেতা অসম্ভব। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থক ৫ শতাংশের কম, হিস্পানিকদের মধ্যে বড়জোর ১০ শতাংশ। সে কারণেই ভাবা হচ্ছে ট্রাম্পের পক্ষে জেতা অসম্ভব। তাহলে?আমেরিকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় সর্বাধিক ভোট পেলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া যায় না। জর্জ বুশ আল গোরের চেয়ে কম ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। কারণ, প্রেসিডেন্ট হতে হলে দরকার কমপক্ষে ২৭০টি ‘ইলেক্টরাল কলেজ ভোট’। নির্বাচনের দিন ভোটাররা যদিও তাঁদের নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন, কিন্তু আসলে তাঁদের ভোটের মাধ্যমে ঠিক হয় কোন প্রার্থী মোট ৫৩৮টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোটের কতটি পেলেন। জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিটি রাজ্যের জন্য ইলেক্টরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা আগে থেকেই নির্ধারিত আছে। শুধু নেব্রাস্কা ও মেইন ছাড়া আমেরিকার সব অঙ্গরাজ্যেই যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পান, নির্ধারিত ইলেক্টরাল কলেজ ভোটের সবগুলোই তাঁদের খাতায় জমা হয়। কেবল ওই দুই রাজ্যে আনুপাতিক হিসাবে ইলেক্টরাল কলেজ ভোট নির্ধারিত হয়।আমেরিকার কোন রাজ্যে কে কতটা ইলেক্টরাল কলেজ ভোট পেতে পারেন, তার একটা মোদ্দা হিসাব আমাদের জানা আছে। রেজিস্ট্রিকৃত ভোটার সংখ্যায় ডেমোক্র্যাটরা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকানদের চেয়ে এগিয়ে। অধিকাংশ নগর-প্রধান রাজ্যসমূহে (যেমন নিউইয়র্ক বা ক্যালিফোর্নিয়া) ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য রয়েছে, ফলে এসব ‘নীল’ রাজ্যে হিলারি সব ইলেক্টরাল ভোট ছিনিয়ে নেবেন, এমন একটা ধারণা করা যেতে পারে। দক্ষিণের ও মধ্য-পশ্চিমের ‘লাল’ রাজ্যসমূহে, যেখানে রিপাবলিকানদের প্রাধান্য, সেখানে ট্রাম্প জিতবেন, তাও আমরা ভাবতে পারি। কিন্তু শুধু ‘নীল’ ও ‘লাল’ রাজ্যসমূহের ভোটে ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোট বাক্সে তোলা কঠিন। এ জন্য দরকার পড়বে নীল নয়, লাল নয় এমন ‘পাটকেলে’ রাজ্যসমূহে নির্বাচনী বিজয়।ডোনাল্ড ট্রাম্প হিসাব করে দেখেছেন, তিনি যদি শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের খুব বড় সংখ্যাকে নিজের পক্ষে টানতে পারেন, তাহলে ফ্লোরিডা, ওহাইও ও ভার্জিনিয়ার মতো না নীল-না লাল রাজ্যগুলোতে জেতা তাঁর পক্ষে অসম্ভব হবে না। কিন্তু এ জন্য তাঁকে এই রাজ্যগুলোর তিন-চতুর্থাংশ শ্বেতাঙ্গ ভোট পেতে হবে। শুধু তা-ই নয়, মোট শ্বেতাঙ্গ ভোটারের তিন-চতুর্থাংশ যাতে ঘরে বসে না থেকে নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। রোনাল্ড রিগ্যানের পক্ষে সে অসম্ভব কাজ সম্ভব করা গিয়েছিল। ট্রাম্প তেমন একটা ম্যাজিকের অপেক্ষায় আছেন। শুধু ‘পাটকেলে’ রাজ্য নয়, শ্বেতকায় ভোটার যদি অস্বাভাবিক সংখ্যায় তাঁকে ভোট দেন, তাহলে পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের মতো ‘নীল’ রাজ্যেও ট্রাম্প সব ইলেক্টরাল ভোট বাগিয়ে নিতে পারেন।কাজটা খুব সহজ নয়। নিউইয়র্ক টাইমস সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া প্রায় ৩০০ জনমত জরিপের ভিত্তিতে যে মডেল নির্মাণ করেছে, তাতে ইলেক্টরাল কলেজ ভোটের হিসাবে হিলারি ক্লিনটনের বিজয়ের সম্ভাবনা ৭৬ শতাংশ। কিন্তু তার মানে এই নয়, ট্রাম্পের পক্ষে জেতা অসম্ভব। ‘লাল’ রাজ্যগুলো ছাড়া ট্রাম্প যদি আর পাঁচ-ছয়টি ‘নীল’ বা ‘পাটকেলে’ রাজ্য জিততে পারেন, তাহলেই অঙ্কটা বদলে যায়।ট্রাম্প এ সম্ভাবনা মাথায় রেখেই ভীতির চিত্রটি এঁকেছেন। তাঁর লক্ষ্য, পেনসিলভানিয়া বা উইসকনসিনের সাদাদের মনে ভয় ঢোকানো। অভিবাসন ও সন্ত্রাসবাদ এসব রাজ্যের শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের চোখে একটি দৈনন্দিন বাস্তবতা। প্রতিটি মানুষ এখন সহিংসতার ‘টার্গেট’, ঠিক এই চিত্রই ট্রাম্প এ দেশের শ্বেতাঙ্গদের মাথায় ঢোকাতে চান। ওবামা ও হিলারিকে তিনি শুধু দুর্বল নন, কার্যত এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে অভিযুক্ত করেছেন। সে জন্য চোখ-কান বুজে মিথ্যা বলতেও তাঁর আপত্তি নেই। বস্তুত, ওবামা আমলে মার্কিন নগরসমূহে বড় ধরনের অপরাধের পরিমাণ গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। অবৈধ অভিবাসনের পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের কথা থেকে এই সত্য ছবিটি মিলবে না। পুলিশের হাতে কালো মানুষ দেদার মরছে, সে কথা তিনি ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করবেন না।ট্রাম্প নিজেকে আমেরিকার শ্বেতাঙ্গদের কাছে তাদের ত্রাতা হিসেবে উপস্থিত করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আমেরিকাকে তিনি আগের গৌরবময় অবস্থায় ফিরিয়ে নেবেন। তাঁর স্লোগান, ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’। সবাই না হোক, অনেকেই বিশ্বাস করেছে।কেউ কেউ ট্রাম্পকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন, তার একটা যৌক্তিক কারণ আছে। হিটলার জার্মানির অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার সময় তাদের মনে একদিকে প্রবল জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন, অন্যদিকে জার্মানির সব সংকটের জন্য ইহুদি ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীকে দায়ী করে প্রবল ঘৃণার আগুন ছড়িয়েছিলেন। হিটলারের মতো হাস্যকর একজন ক্লাউন কখনো ক্ষমতা দখল করবে, এ কথা কেউ ভাবেনি। একই কথা আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্বন্ধেও ভেবেছিলাম। ইতিহাস কিন্তু আমাদের ভিন্ন শিক্ষার কথা বলে।হাসান ফেরদৌস: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি। | 243,215 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১১ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৬ | ১১ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০০ | খেলা | 0 | আশার শ্যুটিংয়ে ভরসা বাকি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/737023 | ১২তম দক্ষিণ এশীয় গেমসের পর্দা উঠবে ৫ ফেব্রুয়ারি। ভারতের গুয়াহাটি ও শিলংয়ে অনুষ্ঠেয় এই প্রতিযোগিতা ঘিরে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন? গেমসের বিভিন্ন খেলায় আমাদের সাফল্যই বা কী? এসএ গেমসের প্রস্তুতি নিয়ে এই ধারাবাহিকে আজ শ্যুটিংশচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে একটা জায়গায় মিল খুঁজে নিতে পারেন আবদুল্লাহ হেল বাকি। টেন্ডুলকার ব্যাট হাতে নামতেন কোটি কোটি ভারতীয়র প্রত্যাশার চাপ কাঁধে নিয়ে। এখন বাকির অবস্থাও অনেকটা সে রকম। শ্যুটিংয়ে বাংলাদেশের সব প্রত্যাশার ঘুড়িটা এখন তাঁকে ঘিরেই ওড়ে। আর শ্যুটিং ছাপিয়ে এসএ গেমসে গোটা বাংলাদেশ দলেরই আশার কেন্দ্রে অলক্ষ্যে ঘোরাফেরা করছেন বাকি।গতবার ঘরের রেঞ্জে তিন সোনার একটি এনে দেওয়া আসিফ কোচিংয়ে ঢুকে পড়েছেন বেশ আগেই। দুটি সোনাজয়ী শারমিন আক্তার রত্নাকে শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে বিতর্কিতভাবে বাদ দিয়েছে ফেডারেশন। সেবার তাঁর দলীয় সঙ্গী সাদিয়া সুলতানাকে খোঁড়া যুক্তিতে প্রাথমিক ক্যাম্পেই ডাকা হয়নি।এই খেলোয়াড়দের ভালো বিকল্প না থাকায় দলের শক্তি কমেছে। তারপরও আশা থাকেই। এবং তা যথারীতি ১০ মিটার এয়ার রাইফেলকে ঘিরে। এবারও এই ইভেন্টটার কথাই বলছেন সবাই। বাকি তো বেশ আশাবাদী, ‘১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ছেলে ও মেয়ে দুই বিভাগেই আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে।’ কোচ লি জং হুয়ান অবশ্য ছেলেদের নিয়ে আশার কথা বললেও মেয়েদের ব্যাপারে বলছেন, ‘সো সো।’কোরিয়ান এই কোচ প্রথম এসেছিলেন ১৯৯৪ সালে। এবার নিয়ে ষষ্ঠবার। সর্বশেষ এক মাস আগে এসে গুলশান রেঞ্জে টানা অনুশীলনের পর শুক্রবার দল নিয়ে বিকেএসপিতে গেছেন। ৫০ মিটার রাইফেলের ৯ প্রতিযোগী নিয়ে সেখানে আগে থেকেই ক্যাম্প করছেন আরেক কোচ সাইফুল আলম রিংকি।কয়েক মাস ধরেই শ্যুটাররা খেলা বা অনুশীলনে থাকায় প্রস্তুতি ভালোই। এ নিয়ে কারও মুখেই হা-হুতাশ নেই। একজন পিস্তল কোচও আনা হয়েছে। যদিও পিস্তলে সোনার স্বপ্ন দেখার সাহস আর নেই। ১৯৯১ গেমসে শ্যুটিং যোগ হলে সেবার বাংলাদেশের তিনটি সোনার দুটিই আসে পিস্তলে। দেশের মাটিতে পরের গেমসে সাত সোনার একটি ছিল পিস্তল। সেই থেকে ইভেন্টটিতে আর সোনার দেখা নেই।৫০ মিটার রাইফেলেও চলছে দীর্ঘ সাফল্যখরা। ১৯৯৫ গেমসে পাওয়া ৫ সোনার তিনটিই এসেছিল এই ইভেন্টে। ২১ বছরের সোনার খরা এবার দূর হওয়ার সম্ভাবনাও জোরালো নয়। ৫০ মিটারসহ বাংলাদেশের পক্ষে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সর্বোচ্চ ৫টি সোনা জেতা রিংকি অবশ্য নিরাশ নন, ‘আমাদের সবই ভালো চলছে। সোনার ব্যাপারে এখনই বলা কঠিন। তবে আমরা পদক নিশ্চয়ই জিতব।’সেই লক্ষ্যে ‘স্কোরে উন্নতি হচ্ছে’, এমন তৃপ্তি লির মুখে। কোচ বাকির কথা বলছেন আলাদা করে, ‘বাকি বিকেএসপির ছাত্র থাকার সময় থেকেই ওকে দেখছি। ও অনেক উন্নতি করেছে। সোনার সম্ভাবনা আছে ওর।’ দলীয় বিভাগে বাকির সতীর্থ শোভনের প্রশংসাও করেছেন লি।২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ বহরের ব্যর্থতার স্তূপে দাঁড়িয়ে রুপা জিতে নিজেকে চেনান বাকি। তবে মাঝখানে নিজের সেরা স্কোরটা করতে পারেননি দুটি প্রতিযোগিতায়। অলিম্পিকের জন্য কোটা প্লেস পেতে তাঁর সামনে শেষ সুযোগ ২৫ জানুয়ারি শুরু দিল্লির এশিয়ান অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার। ওই প্রতিযোগিতায় যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসী বাকি সাফ নিয়ে বলছেন, ‘স্কোরটা ভালোই হচ্ছে। এসএ গেমসে এবার সোনা জিততে পারব বলেই বিশ্বাস।’রত্না না থাকায় মেয়েদের দলটা রং হারিয়েছে অনেকটাই। ২০০৪ ইসলামাবাদ সাফ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জেতা শারমিন আক্তার সম্ভবত এবারও থাকছেন। অভিজ্ঞ সুরাইয়া আক্তার সঙ্গী হতে পারেন। তাঁরা অনেক দিন ধরে খেলছেন। কিন্তু এঁদের চেয়ে ভারতীয়রা এগিয়ে। তারা এখন অলিম্পিকে সোনা জেতে। হরিয়ানার মেয়ে পূরবী চন্ডিমা মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ফাইনালে রেকর্ড গড়েছেন কদিন আগে। ভারত দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির শ্যুটার এবারও হয়তো পাঠাবে। তবে বাংলাদেশে জন্য এঁরাও বড় বাধা।নিজেরাও কি নিজেদের জন্য বাধা নয়? শ্যুটিংয়ে এখন নিয়ম বদলে যাওয়ায় বাছাই শেষে সেরা আটে সবাই শুরু করেন শূন্য থেকে। বাংলাদেশের শ্যুটাররা ফাইনালেই স্নায়ুচাপে বেশি ভোগেন। অতীতে বহুবার তা দেখা গিয়েছে। তারপরও দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলাদেশের জেতা ৬৩টি সোনার ২১টিই শ্যুটিংয়ের উপহার, মানে ঠিক এক-তৃতীয়াংশ। সে কারণে এই গেমস এলেই সবাই শ্যুটিংয়ের কাছে সোনা চায়। সেই সোনার জন্য শুটিং এবার তাকিয়ে বাকির দিকে।শ্যুটিংয়ে বাংলাদেশের পদকসোনা : ২১রুপা : ২৮ব্রোঞ্জ : ৪০ | 191,339 |
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৩ | ০৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৪ | ঠাকুরগাঁও,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের রনবাগ পরিদর্শন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/594496 | বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর রনবাগ এলাকা পরিদর্শন করেছে। সেখানে তারা ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাংসদ দবিরুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি নিয়ে বিরোধের জায়গা দেখতে যায়।পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল সাংসদের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। সে সময় সাংসদের ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী প্রতিনিধিদলকে জানান, তাঁরা ঘটনাটির দ্রুত সমাধান চান। এ জন্য ঐক্য পরিষদের নেতাদের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন তিনি। পরে প্রতিনিধিদল ধায়াপাড়া গ্রামে গিয়ে অকুল সিং, গোকুল সিং ও বুধুরাম সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জমি দখলের ঘটনা ও তাঁদের ওপর সাংসদের লোকজনের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন।পরিদর্শন শেষে নিম চন্দ্র স্থানীয় সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে তিনি বলেন, জমি নিয়ে সাংসদের সঙ্গে স্থানীয়দের একটা বিরোধ ছিল। এ বিরোধ নিয়ে সাংসদের লোকজনের সঙ্গে গ্রামবাসীর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হামলায় রূপ নেয়। তবে জমির বিভেদ নিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি কাম্য নয়। | 158,029 |
সিরাজগঞ্জ, রায়গঞ্জ ও ধনুট (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জুলাই ২০১৬, ০০:৫৭ | ২৫ জুলাই ২০১৬, ০০:৫৮ | সিরাজগঞ্জ,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/924277 | দেশব্যাপী জঙ্গি তৎপরতা ও সন্ত্রাস-নাশকতার বিরুদ্ধে গতকাল রোববার বিকেলে বগুড়ার ধুনট এন ইউ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য দেন।সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ায় পৃথক পৃথকভাবে ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহজাদপুরে শপথ গ্রহণ শেষে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভাও হয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে জঙ্গিবাদবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা সিরাজগঞ্জ কাজিপুর আসানের সাংসদ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল, ধুনট শেরপুর-৫ আসনের সাংসদ হাবিবর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা নিমচন্দ্র ভৌমিক, ন্যাপ নেতা লুৎফর রহমান, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আতাউল্লাহ খান, ওয়ার্কার্স পাটির নেতা সালেহা সুলতানা প্রমুখ।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এ দেশে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঠাঁই হবে না। আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দল মানুষের ভোটে ক্ষমতায় রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনের এক দিন আগেও জঙ্গি হামলা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাঁরা জামায়াত-বিএনপি জোটের অশুভ শক্তি মোকাবিলায় দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।উল্লাপাড়ার বিআরডিবি মিলনায়তনে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের ১৩ জন চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ১৫৬ জন সদস্য ও শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি মিলনায়তনে ১০টি ইউনিয়নের ১০ জন চেয়ারম্যান, ১২০ জন ইউপি ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য শপথ গ্রহণ করেন।দুটি অনুষ্ঠানেই চেয়ারম্যানদের শপথ পাঠ করান সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন। উল্লাপাড়ায় সকাল ১০টায় ও শাহজাদপুরে বেলা সাড়ে ১১টায় এ শপথ অনুষ্ঠান হয়। এদিকে সদস্যদের শপথ পাঠ করান শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আহমেদ ও উল্লাপাড়ার ইউএনও সন্দ্বীপ কুমার সরকার।শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে শপথ গ্রহণ শেষে জঙ্গি প্রতিরোধে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ হাসিবুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ রহমান, মারুফ বিন হাবিব, পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাক আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এলিজা খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুজ্জামান ও আকরাম হোসেন।এদিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল বিকেলে জঙ্গিবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বিকেল চারটার দিকে উপজেলার ধানগড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশের আয়োজন করে। এতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুদ্দীন খান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সুমন সরকার প্রমুখ। | 243,288 |
অনলাইন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৫ জানুয়ারি ২০১৪, ১১:২০ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৪, ১১:২১ | বাংলা গান | 0 | শুভর ‘অনেক স্বপ্ন’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/131416 | ডি রকস্টার চ্যাম্পিয়ন ও সাউথ এশিয়ান সুপারস্টার খেতাবজয়ী কণ্ঠশিল্পী শুভর তৃতীয় অ্যালবাম ‘অনেক স্বপ্ন’ প্রকাশ হচ্ছে আজ শনিবার। দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশের তিন বছর পর এই অ্যালবাম প্রকাশিত হচ্ছে।জানা গেছে, তিন বছর ধরেই অ্যালবামটির কাজ করেছেন শুভ। তিনি বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় অ্যালবামের কাজ করেছিলাম মেলো অলটারনেটিভ রক ঘরানাতে। এবারের অ্যালবামটি নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখছি। তাই অ্যালবামের নাম দিয়েছি ‘‘অনেক স্বপ্ন’’।’‘অনেক স্বপ্ন’ অ্যালবামের সংগীত পরিচালনা করেছেন আমজাদ হোসেন। আর গানের কথা লিখেছেন জিয়া, জাহিদ বাবুল ও জীবন। আরও রয়েছে কানাইলাল শীল, জালাল খাঁ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান।‘অনেক স্বপ্ন’ অ্যালবামে মূলত গান রয়েছে দশটি।গানের শিরোনামগুলো হল, ‘তোমার স্বপ্ন আছে বলেই’, ‘এই শহরের গল্প’, ‘আগে জানলে’, ‘তুমি কই?’, ‘আসবে ফিরে’, ‘টিপ টিপ বৃষ্টি’, ‘যা বৃষ্টি’, ‘হবে না’, ‘ক্যান বা তারে’, ‘স্বাধীন-২’। বোনাস হিসেবে রয়েছে ‘ক্যান বা তারে’ গানটির রিপ্রাইস ভার্সন ও টুম্পার সঙ্গে ‘সহে না যাতনা’ গানটি।অ্যালবামে দুটি লোকগান রয়েছে। একটি কানাইলাল শীলের ‘ক্যান বা তারে’, আর অন্যটি জালাল খাঁর গান ‘আগে জানলে’।শুভ বলেছেন, ‘আমি আমাদের লোকসংগীত নিয়ে কাজ করতে চাই। দেশের গানকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পৌঁছে দিতে চাই।’‘অনেক স্বপ্ন’ অ্যালবামের প্রকাশনা উপলক্ষে আজ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে এর প্রকাশনা সংস্থা জি সিরিজ। অ্যালবামের তিনটি গান ইতিমধ্যেই অনলাইন ও রেডিওতে প্রকাশিত হয়েছে। | 46,211 |
মানসুরা হোসাইন | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৫:১৯ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৫:২৬ | অপরাধ | null | বাবাকে কবে পাবে মাইমুনা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/460576 | বাবার স্বীকৃতি ও ভরণপোষণ পাবে মাইমুনা (১০)। এ জন্য পৃথিবীর আলো দেখার পর থেকে অপেক্ষায় আছে সে। তার বাবা মাইনউদ্দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক হিসেবে যশোর সেনানিবাসে ৩২ ইস্ট বেঙ্গলে কর্মরত। বর্তমানে কুয়েতে আছেন। তবে আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক। মাইনউদ্দিন আবার বিয়েও করেছেন। ২০০৫ সালে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঝর্ণা আক্তারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন মাইনউদ্দিন। এরপর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া মেয়ের বাবার স্বীকৃতি আদায়ে মাইনউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঝর্ণা। গত ১২ নভেম্বর নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম আবুল কাশেম এই মামলার রায় দেন। রায়ে মাইনউদ্দিনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আসামিকে পলাতক উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। রায়ে আরও বলা হয়, মাইমুনা তার মা অথবা মায়ের দিকের কোনো আত্মীয়ের তত্ত্বাবধানে থাকবে। সে বাবা বা মা অথবা দুজনের পরিচয়ে পরিচিত হবে। তার ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর সেনানিবাসের ৩২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদুল আবেদীন আজ মঙ্গলবার টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাইনউদ্দিনের রায়ের কপি আমরা হাতে পেয়েছি। রায়ের কপি সেনা সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মাইনউদ্দিন বর্তমানে কুয়েত সরকারের অধীনে কাজ করছেন। তাই তাঁকে ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। তাঁকে আইনের আওতায় আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ঝর্ণা আক্তারকে ভালোবাসতেন তাঁর প্রতিবেশী মাইনউদ্দিন। কিন্তু এই সম্পর্ক বা তাঁর গর্ভবতী হওয়ার বিষয় ঝর্ণা গোপন করেন মাইনউদ্দিনের পরামর্শে। পরে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে গ্রাম্য সালিস বসে। সালিসে মাইনউদ্দিনের সঙ্গেই ঝর্ণার বিয়ে ঠিক হয়। তবে ঝর্ণা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সালিসের পর বাড়িতে কাজি আইসা সাদা কাগজে সই নিছে। পরে কাবিননামা তুলে জানতে পারি মাইনউদ্দিনের বড় ভাই সুলতানের সঙ্গে বিয়ে পড়ানো হইছে।’ এদিকে ঝর্ণার মেয়ের জন্ম হয় ২০০৫ সালে। সে বছরেই আটপাড়া থানায় করা মামলায় সন্তানের পিতৃপরিচয় নির্ণয়ের জন্য নেত্রকোনার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত (মামলা নং ৩৭ / ২০০৫) ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে বলা হয় মাইনউদ্দিনই মাইমুনার বাবা। মাইমুনা বর্তমানে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে। তার জন্মনিবন্ধন সনদ এবং স্কুলে ভর্তির সময়ও বাবার নাম হিসেবে মাইনউদ্দিনের নামই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মেয়েকে নিয়ে কোনো রকমে টিকে আছেন ঝর্ণা। প্রতিনিয়ত তাঁকে সহ্য করতে হচ্ছে গ্রামের লোকের গঞ্জনা। ঝর্ণা বলেন, ‘আমার জীবন তো শেষ। মেয়ে বড় হইতাছে। এখন একটু একটু বুঝতে পারে। বাপ নিয়ে নানান কথা শুনে। আমি চাই ও তার বাবার পরিচয়ে বড় হউক।’মাইনুদ্দিনের বড় ভাই সেলিম টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে পাইছি। সাত-আট দিন আগে ভাইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হইছে। ও এখন কুয়েত মিশনে আছে। ভাই দেশে ফিরলেই এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করমু।’ | 117,936 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ জুলাই ২০১৬, ০১:৫০ | ৩১ জুলাই ২০১৬, ০১:৫০ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সিটি লিগ্যাল সার্ভিস নেটওয়ার্ক গঠিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/930850 | শহর পর্যায়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আইনি সেবা প্রদানকে সুলভ করার লক্ষ্যে একটি কার্যকরী চাপ প্রয়োগকারী প্লাটফরম সৃষ্টি করার প্রত্যয়ে সিটি লিগ্যাল সার্ভিস নেটওয়ার্ক (সিএলএসএন) গঠিত হয়েছে।২৭ জুলাই উন্নয়ন সংস্থা ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টের সম্মেলনকক্ষে এ উপলক্ষে এক কর্মশালার আয়োজন করে।ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বাশার মো. আবু নোমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সহকারী বার্তা সম্পাদক কবি ওমর কায়সার, সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক এম নাছিরুল হক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিক সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, ফারজানা পারভিন, জেসমিন সুলতানা জেসি। মফিজুল হক ভূঁইয়া, মোস্তফা মো. ইমরান, এ এফ এম সালাহউদ্দিন, বিএনডব্লিউ এলএ–এর বিভাগীয় প্রধান দিল আফরোজ প্রমুখ।কর্মশালা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বাশার মো. আবু নোমানকে সভাপতি , এম নাছিরুল হককে সহসভাপতি এবং ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে নয় সদস্যবিশিষ্ট সিটি লিগ্যাল সার্ভিস নেটওয়ার্কের (সিএলএসএন) কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে ।কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন, ফয়সাল রহমান চৌধুরী, তাবরেজ আহমেদ, সুমন কুমার পাল, ইমরান হায়দার খান, সোহাইল উদ দোজা, সৈয়দ আসাদুল হক প্রমুখ। এ ছাড়া ব্লাস্ট, ইলমা, ইপসা, ব্র্যাক, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, অপরাজেয় বাংলাদেশসহ উপকারভোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি | 245,122 |