author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
বিশেষ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৩৮
০৬ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৪০
-1
0
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি বঞ্চনা বাড়ছে, অভিযোগ সন্তু লারমার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/937582
দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি বঞ্চনার মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা। তাঁর ভাষায়, শিক্ষা থেকে ভূমি হয়ে এখন এই বঞ্চনা বেঁচে থাকার অধিকার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জনসংহতি সমিতির এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষা নীতিতে আদিবাসীদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই বিকাশের লক্ষ্যে বাস্তব কোনো কার্যক্রম সরকার নিচ্ছে না। বরং জনমত উপেক্ষা করে রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যা আদিবাসীদের শিক্ষা বিকাশে অপরিহার্য নয়।’সন্তু লারমার অভিযোগ, ‘দেশে আদিবাসীদের জাতিসত্তা ও ভূমির অধিকারসহ মৌলিক অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত আদিবাসীদের প্রথাগত ভূমি অধিকার সরকার উপেক্ষা করছে। ফলে ভূমি দখলের উৎসব শুরু হয়েছে। তাঁদের মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই করুণ। হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৯ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও সে চুক্তির কোনো মৌলিক বিষয় বাস্তবায়ন করা হয়নি। অপরদিকে, সরকার একের পর এক পার্বত্য চুক্তিবিরোধী ও আদিবাসীদের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। ন্যাশনাল পার্ক, ইকো পার্ক, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সামাজিক বনায়ন, সামরিক বাহিনীর ক্যাম্প ও স্থাপনা সম্প্রসারণ প্রভৃতি কারণে আদিবাসীরা ভূমিহীন হচ্ছেন।’এক প্রশ্নের জবাবে সন্তু লারমা বলেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি যেভাবে ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছিল, সেভাবেই মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে কি না সে বিষয়ে তাঁরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আয়কর অব্যাহতির যে ধারা চালু রয়েছে, তা অব্যাহত রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন।সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী কর্মসূচি ও ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। কর্মসূচির প্রথম দিন আগামীকাল রোববার আদিবাসী-বিষয়ক সংসদীয় ককাসের উদ্যোগে সিরডাপ মিলনায়তনে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সময়সূচিভিত্তিক পরিকল্পনার পথনকশা ঘোষণা করা, শিক্ষা বিস্তার, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য আলাদা ভূমি কমিশন গঠন, আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা প্রভৃতি।সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আদিবাসী-বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সমন্বয়ক মেজবাহ কামাল। তাঁরা বলেন, এসব দাবির মধ্য দিয়ে দেশের ৩০ লাখ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বুকের ভেতর জমে থাকা কান্নার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তাঁরা দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন। আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেনসহ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
246,968
আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জুলাই ২০১৭, ০২:১৯
১০ জুলাই ২০১৭, ০২:২১
পরিবেশ,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ
null
ত্রাণের আশায় ছুটছে মানুষ ফিরছে খালি হাতে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1245246
৭৫ বছর বয়সী ইজাতন বেওয়ার সংসারে পুরুষ কেউ নেই। বন্যায় দুই নাতি-নাতনি নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন বাঁধে। ঘরে একমুঠো খাবার নেই। গত শনিবার ত্রাণের আশায় দিনভর ছোটাছুটি করেন। কিন্তু দিন শেষে ফেরেন খালি হাতে।গতকাল রোববার ইজাতন বেওয়ার সঙ্গে কথা হয় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের রোহদহ পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। সেখানেই পলিথিনের ঝুপড়ি ঘরে থাকছেন তিনি। পেছনে যমুনার স্রোতের গর্জন।রোহদহ পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ঝুপড়ি ঘরে আরও আশ্রয় নিয়েছেন সালেহা বেওয়া, ফিরোজা বেগম, লতিফুন বেওয়াসহ প্রায় দেড় শ মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকেই ত্রাণের আশায় তাঁরা বাঁধের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছোটাছুটি করছেন। কিন্তু ত্রাণ মিলছে না।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সারওয়ার আলম বলেন, বন্যায় সারিয়াকান্দির ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ১০ হাজার পরিবারের অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। জলমগ্ন হয়ে পড়ায় উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৩টি ও ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সবগুলোয় পাঠদান বন্ধ হয়েছে। তলিয়ে গেছে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির পাট, আউশ, বীজতলা ও শাকসবজির খেত।গতকাল সকাল নয়টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, রোহদহ বাঁধে ঝুপড়ির ভেতরে পাতিলে পাটের শাক সেদ্ধ করছেন ইজাতন বেওয়া। নাতনি চাঁদনি ও নাতি মাহিন চুলার কাছে বসে রান্না শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছে। ইজাতন বলেন, ‘রোহদহ গাঁওত একনা ঘর আছে। সাত দিন ধরে তা পানিবন্দী। তিন দিন আগে ঘর ছাড়ে বাঁধত আসে উঠচি। ঘরোত দুই কেজি চাল আছিল। একন শ্যাষ। উদিন (শনিবার) শোননু, হামাকেরে এমপি বানভাসি মানুষক চাল দিচ্চে, টেকা দিচ্চে। সারা দিন এই পুরাতন বাঁধ থ্যাকে ওই লতুন বাঁধোত ছুটাছুটি করনো। ২০ টেকা দিয়ে নৌকায় খেওয়া পার হনো। সারা দিন ছুটাছুটি করনো। বাঁধোত বসে থাকনো। আজও অ্যাকনা ইলিফ কেউ দিল না। খিদায় জানডা বার হয়্যা যাচ্চে, কেউ অ্যাকনা চাল দিলে দুডা ছলোক নুন দিয়ে পান্তা খাওয়াবার পারনুহুনি।’ইজাতন বেওয়া বলেন, তাঁর স্বামী ছমির উদ্দিন শেখ ও ছেলে কমর উদ্দিন মারা গেছেন। মারা গেছে মেয়ে ও তাঁর জামাইও। এখন অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেয়ের দুই ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন তিনি। আর চার শিশুকে নিয়ে ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছেন তাঁর বিধবা পুত্রবধূ মরিয়ম বেওয়া।বাঁধে আশ্রয় নেওয়া লতিফুন বেওয়া বলেন, ‘সংসারত অ্যাকনা পুরুষ মানুষও নাই। অন্যের বাড়িত কাজ করে খাই। কাজকাম বন্ধ। ঘরোত কিছুই নাই। বুড়া মানুষ। না খায়্যা থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কামালপুর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতল ভবনের নিচতলার মেঝে পর্যন্ত বন্যার পানি ছুঁই ছুঁই করছে। ১০-১২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে সেখানে।এখানে আশ্রয় নেওয়া গৃহবধূ জোসনা বেগম জালি কুমড়া কেটে রান্না করছিলেন। তিনি বলেন, সাত দিন আগে বাড়িঘর ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। দিনমজুর স্বামীর আয়-রোজগার বন্ধ। ভাতের চালও ফুরিয়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসহায়তা মেলেনি।অনাহারে দিন কাটানোর কথা বলেন এখানে আশ্রয় নেওয়া সাজেদা বেওয়া, খাতেমন বেওয়া, তালেব আলী, শামসুল আলমসহ অনেকে।কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহিনুর রহমান বলেন, তাঁর ওয়ার্ডে ৬৮০ পরিবার বর্তমানে পানিবন্দী। শনিবার পর্যন্ত মাত্র ৮০টি পরিবার ২০ কেজি করে চাল ত্রাণ হিসেবে পেয়েছে। তবে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বেশ কিছু পরিবারকে নগদ অর্থসহায়তা দিয়েছে।স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, ঘরে খাবার না থাকার এই চিত্র কর্নিবাড়ি থেকে কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালি পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ বিকল্প বাঁধেআশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার বানভাসি মানুষের। খাদ্যসংকটে দিন কাটছে বন্যাকবলিত রোহদহ, ঘুঘুমারি, শেখপাড়া, হাওয়াখালি, চন্দনবাইশা, নিজ চন্দনবাইশা, ফকিরপাড়া, আকন্দপাড়ার মানুষজনেরও। অনেকেই এখনো পানিবন্দী হয়ে বসতবাড়িতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং উঁচু জায়গায় মাচা ফেলে জীবনযাপন করছেন।বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ঘুঘুমারি শেখপাড়ার দিনমজুর ফল্টু খাঁ বলেন, ‘সাত দিন ধরে বাঁধোত রাত কাটাচ্চি। এখন পর্যন্ত এক কেজি ত্রাণের চালও কপালে জোটেনি। বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা পাচ্ছে শুকনো এলাকার মানুষ।’ত্রাণ না পাওয়ার কথা বলেন বিকল্প বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বাদশা মিয়া, আবদুল খালেক, সানোয়ার হোসেনসহ অনেকে। তাঁরা আরও বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বানভাসি মানুষেরা অমানবিক জীবন যাপন করছেন। বাঁধে ঝুপড়ি ঘর তুলে কোনো রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই মিললেও হাতে কাজ নেই, ঘরে ভাত নেই। ত্রাণসহায়তাও খুবই কম। রয়েছে খাবার পানির সংকট। স্যানিটেশন সমস্যায় নারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পানিবন্দী গ্রামগুলোতে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ, ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রকোপ।জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুজ্জামান বলেন, বাঁধে আশ্রয় নেওয়া দুর্গত মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রোববার পর্যন্ত ২৫টি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। এ ছাড়া বসানো হয়েছে ৬০টি কাঁচা পায়খানা।বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনের সাংসদ আবদুল মান্নান রোববার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুর্গত এলাকায় ত্রাণসহায়তা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও পর্যাপ্ত চাল মজুত রয়েছে। সোমবার (আজ) আরও তিন হাজার পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গৃহ নির্মাণসহায়তা এবং কৃষি পুনর্বাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
325,369
অনলাইন ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ নভেম্বর ২০১৬, ১২:২৭
২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:১৯
সরকার
0
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1025181
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে (শিখা চিরন্তন) ফুল দিয়ে তিনি এই শ্রদ্ধা জানান।বাসসের খবরে জানানো হয়, ফুল দেওয়ার পর শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চৌকস দল এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়। বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে। এরপর শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম নিজামউদ্দিন আহমদ, বিমানবাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।পুষ্পস্তবক অর্পণের অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে (এএফডি) যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানেরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।এএফডির ডাইরেক্টরস জেনারেল এবং পিএসও প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এরপর এই বাহিনী দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে এবং মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করা পর্যন্ত এ লড়াই অব্যাহত রাখে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ঐতিহাসিক দিনকে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
267,214
-1
life-style
জীবনযাপন
১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩১
১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৮
অধুনা,সম্পর্ক
0
মেয়ের পছন্দ গণিত, মায়ের বাংলা
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1561631
সদ্য শেষ হওয়া ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেছে দেবস্মিতা সাহা। চট্টগ্রামের ডা.খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার মা স্বপ্না সাহা, শিক্ষিকা। আজ থাকছে দুই প্রজন্মের মা-মেয়ের পছন্দ-অপছন্দের কথা।১. পছন্দের খাবার?দেবস্মিতা সাহা: সরষে ইলিশ।মা: ভাত–মাছ।২. কোথায় ঘুরতে ভালো লাগে?দেবস্মিতা সাহা: সমুদ্র।মা: সমুদ্র।৩. প্রিয় সিনেমা?দেবস্মিতা সাহা: আগুনের পরশমণি।মা: অপুর সংসার।৪. প্রিয় অভিনয়শিল্পী?দেবস্মিতা সাহা: মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী।মা: ডলি জহুর, আবুল হায়াত।৫. প্রিয় পাঠ্য বিষয়?দেবস্মিতা সাহা: গণিত।মা: বাংলা।৬. কার হাতের রান্না খেতে ভালো লাগে?দেবস্মিতা সাহা: মায়ের হাতের।মা: মায়ের হাতের।৭. প্রিয় পোশাক?দেবস্মিতা সাহা: ফতুয়া।মা: শাড়ি। ৮. প্রিয় খেলা?দেবস্মিতা সাহা: ক্রিকেট।মা: ব্যাডমিন্টন। ৯. প্রিয় খেলোয়াড়?দেবস্মিতা সাহা: মাশরাফি বিন মুর্তজা।মা: সাকিব আল হাসান। ১০. পছন্দের রং?দেবস্মিতা সাহা: সবুজ।মা: গাঢ় নীল। ১১. প্রিয় লেখক?দেবস্মিতা সাহা: হুমায়ূন আহমেদ, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।মা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২. পরস্পরের যা ভালো ও খারাপ লাগে?দেবস্মিতা সাহা: মায়ের সবকিছুই ভালো লাগে। তবে হঠাৎ করে রেগে যায়।মা: আমার মেয়ের সবকিছুই ভালো লাগে। তবে মাঝে মাঝে রেগে যায়। অধুনা প্রতিবেদক
379,844
প্রথম আলো ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ মার্চ ২০১৫, ০২:২৭
০৩ মার্চ ২০১৫, ০২:৩১
অপরাধ
null
ঢাকায় ১২ গাড়িতে আগুন–ভাঙচুর
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/466642
রাজধানীতে ছয়টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজশাহীতে বর্তমান ও সাবেক মেয়র এবং জেলা পরিষদের প্রশাসকের বাসভবনসহ নোয়াখালীতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়েছে।গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিলে আহত হন অন্তত ১০ যাত্রী। বগুড়ায় তিনটি বাস-ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলা এবং চট্টগ্রাম, পঞ্চগড় ও ফেনীতে পাঁচটি যাত্রীবাহী বাসেও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে ভূমি অফিস, রাজশাহী ও পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগসহ আরও কয়েকটি স্থানে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। ফেনীতে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে মারা গেছে কয়েক শ কবুতর।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধের ৫৬তম দিন ছিল গতকাল। এই দিন ১৪টি জেলার অন্তত ২১টি স্থানে নাশকতা-সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন দেওয়া হয় ১৬টি গাড়িতে। ভাঙচুর করা হয় ১১টি। রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নাশকতায় জড়িত থাকার সন্দেহে, মামলা ও অন্যান্য ঘটনায় আটক বা গ্রেপ্তার করা হয় ৮০ জনকে।৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে চলছে অবরোধ কর্মসূচি। তবে এর দুই দিন আগেই শুরু হয় সহিংসতা। ক্রসফায়ারে ৩৩ জনসহ সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১১৩ জন; আহত ব্যক্তির সংখ্যা সহস্রাধিক। আগুন দেওয়া হয়েছে মোট ৬৫৪টি যানবাহনে এবং ভাঙচুর করা হয়েছে মোট ৬১৬টি।রাজধানীর চিত্র: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতিরঝিলে সকাল ১০টার দিকে চারটি ও বিকেল চারটার দিকে বিজয়নগরে দুটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে গত তিন দিনে ঢাকায় অন্তত ২০টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো। ককটেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে আরও অনেকগুলো গাড়ি। গতকাল হাতিরঝিলে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের সময় ভাঙচুর করা হয় আধা ডজনেরও বেশি গাড়িতে। মেয়রের বাসভবনে হামলা: রাজশাহীর উপশহর এলাকায় সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বাড়িতে রাত নয়টার দিকে বোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এক ঘণ্টা পর একই এলাকায় বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহবুব জামান ভুলুর বাসভবনেও বোমা হামলা হয়েছে। মোসাদ্দেকের বাড়িতে হামলায় তাঁর শাশুড়ি আহত হন। পুলিশ মেয়রের দুই ভাইকে আটক করে। খায়রুজ্জামানের স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনী জানান, তাঁর স্বামী ঢাকায় রয়েছেন। তিনি ড্রয়িংরুমে রাত নয়টায় টেলিভিশনে খবর দেখছিলেন। এ সময় বারান্দায় বিকট শব্দে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাড়ির লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ড্রয়িংরুমের জানালার কাচ ফুটো হয়ে গেছে।নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, দ্রুত তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।রাত সোয়া ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনের বাসায় হামলা চালায়। তাঁর স্ত্রী রেবেকা সুলতানা বলেন, তিনি বারান্দায় কাপড় তুলতে গিয়ে দেখেন, একদল যুবক মেয়রের নামফলক লাথি দিয়ে ভাঙছে। তিনি কথা বলতে যেতে চাইলে তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারে তারা। দরজা বন্ধ করে রক্ষা পান তিনি।এদিকে নগরের বিলসিমলা বন্ধগেট এলাকায় ভোর ছয়টার দিকে নগর আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে কার্যালয়ের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গিয়ে আগুন নেভান।গাজীপুরে বাসে আগুন, আহত ১০: গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-বরমী সড়কের বরমী এলাকায় দুপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঢাকা থেকে গাজীপুরে যাওয়ার পথে প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের বাসটিতে গানপাউডার জাতীয় কিছু দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে বাসের সব আসন ও ইঞ্জিন পুড়ে গেছে। আগুন থেকে বাঁচতে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান।বগুড়ায় তিন গাড়িতে বোমা: বগুড়ায় ১০ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীবাহী একটি বাস ও পণ্যবাহী দুটি ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে বাস ও ট্রাকগুলো পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হননি। গত রোববার রাত আটটার দিকে শহরের উপকণ্ঠে বনানী এলাকায় টিআর ট্রাভেলসের নৈশকোচ এবং গতকাল সকাল ছয়টার দিকে এরুলিয়া এলাকায় ট্রাকগুলোতে এ হামলা চালানো হয়। ঢাকা থেকে নওগাঁগামী বাসটিতে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে বোমা ছুড়ে মারে। এ সময় জানালা দিয়ে বাইরে লাফিয়ে পড়ে এবং হুড়োহুড়ি করে নেমে রক্ষা পান যাত্রীরা।চট্টগ্রামে দুই বাসে আগুন: চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের এশিয়ান হাউজিং সোসাইটির সামনে রাত আটটার দিকে একটি বাসে পেট্রলবোমা মারে দুর্বৃত্তরা। যাত্রী না থাকায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া রাত সাড়ে আটটার দিকে ইপিজেড এলাকায় আরও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। পঞ্চগড়ে আ.লীগ কার্যালয় ও দুই বাসে আগুন: পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল বাজার ও টুনিরহাট বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভোররাত চারটার দিকে এ ঘটনার কিছু আগে শহরের তেঁতুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে পার্ক করা দুটি যাত্রীবাহী বাসেও পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় তারা। পুড়ে মরল কয়েক শ কবুতর: ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আজিজ ফাজিলপুর মোক্তার বাড়ির দরজা নামক স্থানে সকালে একটি যাত্রীবাহী বাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন দেওয়ার আগে তারা যাত্রীদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। এ সময় ছাদে থাকা একজন ব্যবসায়ীর কয়েক শ কবুতর পুড়ে মারা গেছে।সরকার-সমর্থকদের হামলা: জয়পুরহাটে সরকার-সমর্থকদের মিছিল থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় কিছু ককটেলেরও। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ফৌজিয়া মার্কেটে ইসলামী ব্যাংক ও মার্কেটের পাশে লোটো জুতার শোরুমে ঢিল ছোড়েন মিছিলকারীরা। পরে আমতলী এলাকায় গ্র্যাজুয়েট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাচ ভাঙচুর করেন তাঁরা। ঢাকার বাইরের আরও চিত্র: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রোববার রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. আরিফ ও মাইন উদ্দিন নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ ঘটনাকে পুলিশের সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, আরিফ (২০) যুবদল ও মাইন উদ্দিন (২৫) ছাত্রশিবিরের কর্মী।দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়ায় ভোর ছয়টার দিকে একটি ট্রাক পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার আগে সড়কে ত্রিফলা ফেলে ট্রাকটিকে থামানো হয়। দুর্বৃত্তরা চালক ও তাঁর সহকারীর দেহেও পেট্রল ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে। তবে তাঁরা পালাতে সক্ষম হন।চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে রাত সাড়ে আটটার দিকে দুর্বৃত্তরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং একটি খালি ট্রাকে আগুন দেয়। নাটোরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে রোববার রাতে যাত্রীবাহী একটি বাসের নিচে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই রাতে নীলফামারী শহরের তিনটি স্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় গতকাল মামুন ভূঁইয়া ও জহিরুল ইসলাম নামে দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশের দাবি, তাঁরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং তাঁদের একজনকে দলীয় পদ-পদবির লোভ দেখিয়ে ওই হামলায় অংশগ্রহণ করানো হয়।লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের রাখালিয়া এলাকায় একটি স্কুল থেকে জামায়াতের নেতা ইছমাইল হোসেনকে আটক করার প্রতিবাদে দুপুরে গাছ ফেলে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশাসহ পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁরা।{প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা}
119,887
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:০৮
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:০৯
-1
0
‘বিচার না হলে রামুর মতো ঘটনা ঘটতেই থাকবে’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/51711
কক্সবাজারের রামুতে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে অতি দ্রুত। তা না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে রামু স্মরণে ‘আলোর শরণে কাটুক অন্ধকার’ শীর্ষক স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রামুতে বৌদ্ধবিহার ও বসতির ওপর হামলার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ এ সভার আয়োজন করে। এ ছাড়া আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সংহতি, স্মরণ ও প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয় অনুষ্ঠানে।সভায় শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সাপের সঙ্গে বসবাস করা যেমন সম্ভব নয়; তেমনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গেও বসবাস সম্ভব নয়। রামুর ঘটনা শুধু বৌদ্ধদের ওপরই হামলা নয়, এটি বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করার চেষ্টাও।ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ধর্মের নামে রাজনীতি বন্ধ না করা হলে ধর্মের নামে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচারও হবে না। তিনি নিউইয়র্কে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে গিয়ে বললেন জামায়াত রাজনৈতিক দল। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন ব্লগার রাজীবকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তিনি বলেছেন জামায়াত রাজনৈতিক দল নয়। আমেরিকায় গেলে জামায়াত রাজনৈতিক দল আর বাংলাদেশে থাকলে রাজনৈতিক দল নয়। এভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবে না।’
20,650
আদালত প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ নভেম্বর ২০১৩, ২০:১৪
১১ নভেম্বর ২০১৩, ২০:১৫
আইন ও বিচার
null
তারেক-মামুনের অর্থ লেনদেনের মামলায় যুক্তি-তর্ক চলছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/71299
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে করা অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মামলায় যুক্তি-তর্ক শুনানি চলছে। আজ সোমবার গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষ না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোতাহার হোসেন বৃহস্পতিবার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।আজ যুক্তি-তর্ক শুনানির আগে গিয়াস উদ্দিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন, মাহমুদ হোসেন ও মীর আহমেদ সালাম উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষ আদালতে যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষ করতে না পারায় পরবর্তী সময় ধার্য করার জন্য মৌখিকভাবে আবেদন জানান। আইনানুযায়ী সময়ের আবেদন করার নিয়ম থাকলেও আসামিপক্ষে তা করা হয়নি। দুদকের আইনজীবীরা আপত্তি করলেও আদালত কোনো আবেদন না নিয়েই পরবর্তী দিন ধার্য করেন।২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দুদক এ মামলা করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। পরবর্তী সময়ে সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটিব্যাংক এনএতে তাঁর নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন।
27,018
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৩২
২৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৩৩
গাইবান্ধা,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
গাইবান্ধায় যুবক খুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/434404
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কালিরখামার গ্রামে এক যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।ওই যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম (৩০)। তিনি কালিরখামার গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে।সুন্দরগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা সাইফুলকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি রাতে বাড়ি ফিরে আসেননি। গতকাল রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন গ্রামের বিলের জমিতে গলায় মাপলার প্যঁাচানো অবস্থায় তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।এ ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী শ্যামলী বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, নিহত যুবকের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
110,048
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ মার্চ ২০১৬, ১৯:০৩
১২ মার্চ ২০১৬, ২১:১৮
সরকার
null
৭ মার্চের ভাষণের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা ছিল: প্রধানমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/796642
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্থান পেয়েছে। অথচ এ ভাষণের ওপর বাংলাদেশে একদিন অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এ কারণে একটি প্রজন্ম সত্য জানা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাতই মার্চের ভাষণ জাতিকে পথ দেখিয়ে গেছে। এ ভাষণের প্রত্যেকটি শব্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেই আমাদের সেই চেতনাটা এনে দেয়। মাথা উঁচু করে চলার মনোবল দেয়। যেকোনো অবস্থা মোকাবিলা করার, শত্রুকে দমন করার পথ শেখায়। এ ভাষণের আবেদন কোনো দিন শেষ হবে না, শেষ হয়নি। এই ভাষণের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার কারণে একটি প্রজন্ম সত্য জানা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’
209,919
-1
international
আন্তর্জাতিক
১০ মে ২০১৫, ০০:২৫
১০ মে ২০১৫, ০০:২৯
এশিয়া
0
ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি উ. কোরিয়ার
http://www.prothom-alo.com/international/article/523417
উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারা ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এই দাবি সত্যি হলে তা অস্ত্রশস্ত্রের দিক দিয়ে সুস্পষ্টভাবেই দেশটির এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত বহন করবে। খবর বিবিসির। কমিউনিস্ট দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন অদূরে একটি জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দৃশ্যটি দেখছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা কঠিন। এটি বেশ অগ্রসর প্রযুক্তি। এ কারণে ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরীক্ষা চালানোর ঘটনা সামরিক প্রযুক্তির দিক থেকে দেশটির এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টিই তুলে ধরে। তবে এ খবরের সত্যতা নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা যায়নি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে পরীক্ষার সময় ও স্থানের কথা উল্লেখ করেনি। রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র রোদোং সিনমাম-এর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে, কিম জং-উন কথিত ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরীক্ষাটি কাছ থেকে দেখছেন। ওই পরীক্ষাটি দেশটির পূর্ব উপকূলীয় শহর সিনপোর কাছে চালানো হয়ে থাকতে পারে। চলতি বছরের শুরুতে ওই এলাকায় কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা একটি ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম একটি ডুবোজাহাজ শনাক্ত করা হয়। কিম জং-উন বলেন, বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদাকে আক্রমণ করা শত্রুপক্ষের ওপর সাগর থেকে আঘাত হানার মতো বিশ্বমানের কৌশলগত অস্ত্রের অধিকারী হয়েছে তাঁর দেশ।
137,886
-1
sports
খেলা
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২৭
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:২৯
খেলা
0
ক্রী ড়া ঙ্গ নে র কা লো দি ন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/49167
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত তারিখ আজ। ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ সালের এই দিনে আবাহনী ও জাতীয় দলের চার ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন (বাঁ থেকে দ্বিতীয়), আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু (বাঁ থেকে তৃতীয়), আনোয়ার হোসেন (সর্বডানে) ও গোলাম রাব্বানী হেলালের হাতে ওঠে হাতকড়া আর দড়ি। আবাহনীর দুই বিদেশি খেলোয়াড় পাকির আলী ও অশোকাকেও ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢাকা লিগের শেষ ম্যাচে সেদিন মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী-মোহামেডান। ম্যাচে একটি গোল বাতিলকে কেন্দ্র করে মাঠে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। উত্তেজিত সমর্থকেরা ভাঙচুর চালায় স্টেডিয়ামে। এরই জের ধরে ওই রাতে ১২ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তৎকালীন সামরিক সরকার। আবাহনী ক্লাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শুধু আবাহনীর ফুটবলারদেরই। পরদিন দুই বিদেশিসহ আটজন ছাড়া পেলেও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয় এই চার ফুটবলারের। বিশেষ ক্ষমায় ১৭ দিন জেল খেটে রাজশাহী ও যশোর কারাগার থেকে মুক্ত হন তাঁরা।  ছবি সৌজন্য
18,215
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১৫ মার্চ ২০১৯, ১৫:৪২
১৫ মার্চ ২০১৯, ১৬:৫৩
নিউজিল্যান্ডে হামলা,আইসিসি,ক্রিকেট,বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সিরিজ,সন্ত্রাসী হামলা
null
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিলের প্রশংসা করল আইসিসি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1583597
ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ হামলার পর নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ তৃতীয় টেস্ট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে আইসিসিনিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে কাল তৃতীয় টেস্ট মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু আজ সেখানকার এক মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ধাক্কা খেয়েছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এই হামলা থেকে বড় বাঁচা বেঁচে গেছে। এমন ঘটনার পর ক্রিকেট খেলার মানসিকতা আর থাকে! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কথা বলে তৃতীয় টেস্ট বাতিল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। হামলার নিন্দা জানিয়ে ম্যাচ বাতিলের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে আইসিসি।আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ হামলায় যে সকল পরিবার ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হয়েছে তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। দুই দল, স্টাফ ও ম্যাচ অফিশিয়ালরা নিরাপদে আছেন। টেস্ট ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আইসিসির।’আল নুর নামের সেই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন দলের বেশ কজন ক্রিকেটার। আর কিছুক্ষণ আগে পৌঁছালেই হয়তো তাঁরা হামলার শিকার হতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে বেঁচেছেন। হ্যাগলি ওভালের ড্রেসিংরুমে ঘণ্টা দুয়েক অবরুদ্ধ থাকার পর বাংলাদেশ দলকে বিশেষ প্রহরায় নভোটেল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট জানিয়েছেন, মাহমুদউল্লাহদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠানো হবে। ভয়াবহ এই হামলায় নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম।
393,893
-1
international
আন্তর্জাতিক
০২ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:১০
০২ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৭:৫২
এশিয়া
null
সহিংস বিক্ষোভ, সেনা মোতায়েন
http://www.prothom-alo.com/international/article/87853
থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধীরা গতকাল রোববার ‘গণ-অভ্যুত্থান’ শুরু করেছে। তবে সাত দিনের শান্ত কর্মসূচির পর গতকাল বিরোধীদের আন্দোলন ভয়াবহ সহিংস রূপ নিয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংককে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে পুলিশ কম্পাউন্ডে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। সরকারবিরোধীরা একটি সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দখল করে নিয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে ঢোকার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পুলিশ প্রচুর পরিমাণে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে।গতকাল টেলিভিশনে বিরোধী নেতা সুথেপ থগসুবান আজ সোমবার থেকে দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। রোববারকে তিনি ‘ভি-ডে’ জ (বিজয়ের দিন) ঘোষণা করে এই দিনকে ‘গণ-অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দেন।গত শনিবার সরকারবিরোধী নেতারা সরকারের ১০টি প্রধান কার্যালয়, ছয়টি টেলিভিশন কেন্দ্র, পুলিশ সদর দপ্তর ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নিতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই ব্যাংককে বিক্ষোভ চলছে। গত দুই-তিন দিনে তা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। তবে হতাহতের ঘটনা গতকালই প্রথম ঘটল।ব্যাংককে গত শনিবার রাতেই মূলত বড় ধরনের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের সমর্থনে ওই দিন ব্যাংকক স্টেডিয়ামের চারপাশে জড়ো হয় সরকারপন্থী হাজার হাজার ‘রেড শার্ট’ সমর্থক। সেখানেই সরকারবিরোধীদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।থাইল্যান্ড পুলিশের উপপ্রধান ওরাপং সিয়েপরেচা জানান, সহিংসতায় একজন ছাত্রসহ পাঁচজন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ৫০ জন। স্টেডিয়ামের পাশে সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া একজন ‘রেড শার্ট’ সদসকে সরকারবিরোধীরা মারধর করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।তবে এই সহিংসতার জন্য সরকারপন্থী ও বিরোধীরা পরস্পরকে দোষারোপ করছে।রাজধানীর এক ভবনে গতকাল রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার পরিকল্পনা ছিল প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের। পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি ওই ভবনে গেলে সরকারবিরোধীদের বাধার মুখে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। পরে পুলিশ দ্রুত তাঁকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।এদিকে ব্যাংককে গতকাল মন্ত্রণালয়গুলোতে ঢোকার চেষ্টা করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তাঁরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও ইট-পাটকেল ছোড়ে। এই সংঘর্ষে সেখানে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়।পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের আটটি স্থানে জড়ো হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র পিয়া উতায়ো বলেন, আইনের আওতায় থেকেই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।
32,475
জামিল খান, মস্কো
international
আন্তর্জাতিক
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৬
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৭
ইউরোপ
0
চার বছর বয়সে আট ভাষা!
http://www.prothom-alo.com/international/article/1006197
রাশিয়ায় চার বছরের এক শিশুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজধানী মস্কোর বাসিন্দা এই রুশ মেয়েশিশু বেল্লা দেভিয়াতকিনা আটটি বিদেশি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারে।সম্প্রতি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলের একটি রিয়েলিটি শোতে ওই শিশু বিদেশি ভাষায় তার পারদর্শিতা প্রমাণ করেছে। বেল্লা রুশ, ইংরেজি, জার্মান, ফরাসি, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান, চায়নিজ ও আরবি ভাষায় কথা বলতে পারে।সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেল্লার মা-বাবা জানান, তার বয়স যখন মাত্র দুই বছর, তখন থেকেই সে রুশ ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা শিখতে শুরু করে। সে খেলার ছলেই শিখতে বেশি পছন্দ করে। ভাষার প্রতি তার আগ্রহ বাড়তে থাকায় ধীরে ধীরে যোগ হতে থাকে নতুন বিদেশি ভাষা। চার বছরে মাথায় এখন সে আটটি ভাষায় পারদর্শিতা প্রমাণ করেছে।টিভিতে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা যায়, আটটি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী আটজনের সঙ্গে ওই শিশু অত্যন্ত সাবলীল ভঙ্গিতে কথা বলছে। শুধু বলতে পারাই নয়, বড় পর্দায় তাকে যখন প্রশ্ন পড়তে দেওয়া হয়, তা-ও সে পড়ে শোনায়। অনুষ্ঠানের উপস্থাপকের অনুরোধে স্প্যানিশ ভাষায় একটি গান গেয়ে শোনায় বেল্লা। তার এই অসাধারণ প্রতিভা দেখে রীতিমতো অবাক হতে থাকেন বিচারকসহ উপস্থিত দর্শকেরা।ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে। এক দিনেই তা এক কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে নিয়ে ডেইলি মেইল, টেলিগ্রাফ, নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন ছেপেছে।
258,833
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:৩৭
০৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:৩৮
বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ
0
ফাটল ধরা পিলারের ওপর নতুন ডেক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1133236
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কচুয়া এলাকায় সম্প্রতি একটি সেতুর সংস্কার করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুরোনো ও ফাটল ধরা পিলারের ওপর নতুন করে ডেক (ওপরের অংশ বা গাড়ি ও মানুষের চলাচলের অংশ) নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সেতু দিয়ে পণ্যবোঝাই যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আত্রাই-পতিসর পাকা সড়কের কচুয়া গ্রামের রাস্তার প্রবেশমুখে প্রায় তিন দশক আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর ধরে সেতুর রেলিং ও পাটাতন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পিলারে ফাটল ধরে। কয়েক মাস আগে সেতুটি সংস্কারের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সপ্তাহ খানেক আগে এর সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। ফাটল ধরা পিলারের ওপর কংক্রিটের ডেক নির্মাণ করা হয়েছে।উপজেলার জালুপৌঁতা গ্রামের ব্যবসায়ী ফণী ভূষণ প্রামাণিক বলেন, ‘জালুপৌঁতা, কচুয়া গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই সড়ক। জেলা ও উপজেলাসহ যেকোনো স্থানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আমাদের এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। বিশেষ করে বোরো ও আমন মৌসুমে ধানবোঝাই ট্রাক, ট্রলি, ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। ভাঙা ও ফাটল ধরা পিলারের ওপর নতুন করে সেতু নির্মাণ করায় আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ সেতুটি ভেঙে পড়লে পণ্য পরিবহনে মারাত্মক সমস্যা হবে। নতুন করে সেতুটি নির্মাণের দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, সেতুটির ডেকের অংশটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই আপাতত কয়েক বছর চলার জন্য পাটাতন নতুন করে ঢালাই দেওয়া হয়েছে। অন্তত দুই বছরের মধ্যে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে সেখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।
309,221
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ অক্টোবর ২০১৬, ২০:১৫
২৯ অক্টোবর ২০১৬, ২১:০৬
-1
0
সত্য সংবাদ খুঁজতে হবে : আরেফিন সিদ্দিক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1010113
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেছেন, সত্যের সন্ধান করুন। সত্য সংবাদ যত কঠিনই হোক, খুঁজে বের করতে হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডিইউএমসিজেএএ) নির্বাহী পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা পেশার উৎকর্ষ সাধনে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। সাবেক শিক্ষার্থীরা বৃত্তিসহ নানা বিষয়ে বর্তমান ছাত্রদের সহায়তা করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।ডিইউএমসিজেএএর প্রধান পৃষ্ঠপোষক উপাচার্য বলেন, ভবিষ্যতে এ সংগঠনটি দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও খ্যাতি অর্জন করবে। ভবিষ্যতে ডিইউএমসিজেএএ একটি আদর্শ সংগঠন হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হবে বলেও তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।অ্যালামনাইয়ের সাবেক সভাপতি প্রধান তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান বর্তমান ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, স্নাতক শেষ করে অ্যালামনাই সদস্য হোন। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকলে ভালো লাগবে।সংগঠনের সদ্য বিদায়ী সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অভিষেক অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সাখাওয়াত আলী খান, সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুস সালাম, সাবেক সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, শিল্পী ফকির আলমগীর ও অভিষেক প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ পিপুল।বাংলাদেশ সরকারের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান ২০১৬-১৮ বছরের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন মফিজুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে নতুন কমিটির সদস্যদের ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাতটি স্ট্যান্ডিং কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়।সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন কাজী রওনাক হোসেন, ফরিদা ইয়াসমিন, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন ও এম কামালউদ্দিন জসীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, মীর আত্তাকী মাসরুরুজ্জামান রনি, মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, সঞ্জীব চ্যাটার্জি ও আহমেদ পিপুল, সহকারী সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জুনায়েদ আহমদ হালিম, সুজন মাহমুদ ও জেসমিন জাহান মুন, সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মাহমুদ সালাহ্উদ্দিন চৌধুরী।এ ছাড়া কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে তারিকুল ইসলাম খান রবিন, প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে শেখ জীনাত শারমিন, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মো. আসাদুজ্জামান কাজল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে শারমিন ইফফাত শামস্ তুলি, যোগাযোগ সম্পাদক হিসেবে আনোয়ারুল আজিম রয়েছেন।নির্বাহী সদস্য হয়েছেন গোলাম রহমান, শেখ আবদুস সালাম, মো. আলমগীর হোসেন, এম খায়রুল কবীর, স্বপন কুমার দাস, শাহিদা আলম, নার্গিস বেগম মিনি, একেএম রহমত আলী হাওলাদার, শাহেদ চৌধুরী, শওকত আহমেদ ফরিদি টনি, অলিউর রহমান, বিপ্লব বড়ুয়া, মাহমুদ মেনন খান, মো. হাসান উল্লা খান রানা, কে এম সাখাওয়াত মুন, শরিফ উদ্দিন লিমন, লোপা হোসাইন, শরিফুল ইসলাম হাসান, তৌহিদুল হাসান নিটল এবং সাহস মোস্তাফিজ।
260,291
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জুন ২০১৬, ০২:০৫
১৮ জুন ২০১৬, ০২:০৯
অপরাধ
null
বিশেষত্ব হারিয়েছে বিশেষ অভিযান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/891613
পুলিশের এক সপ্তাহের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযান শেষে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামগ্রিক বিচারে অভিযান সফল। জঙ্গিদের দুর্বল করতে পেরেছেন তাঁরা। তবে মানবাধিকারকর্মী, জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, বিশেষ অভিযান বিশেষত্ব হারিয়েছে। অভিযানের সফলতা এখন পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি পুলিশ।অভিযানের নামে ঢালাও ধরপাকড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ অনেকে। বিভিন্ন জেলায় ‘গ্রেপ্তার-বাণিজ্যের’ অভিযোগও উঠেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ঈদের আগে সাঁড়াশি অভিযানের নামে কিছু পুলিশ সদস্যকে ‘গ্রেপ্তার-বাণিজ্য’ করার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।পুলিশ বলছে, সাত দিনের অভিযানে মোট ১৯৪ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ঢালাও গ্রেপ্তারের অভিযোগ ওঠার পর গত বুধবার থেকে সারা দেশে মোট গ্রেপ্তারের তথ্য আর গণমাধ্যমকে জানায়নি পুলিশ সদর দপ্তর। তার আগে শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচ দিনে ১১ হাজার ৩১২ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেয় পুলিশ। শেষ দুই দিন কেবল জঙ্গি গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।পুলিশ সদর দপ্তরের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশের থানাগুলোতে জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এই অভিযানে জঙ্গিদের সম্পর্কে একটি তথ্যভান্ডারও গড়ে তোলা হয়েছে। এটা অভিযানের বড় সাফল্য।এ ছাড়া গণগ্রেপ্তারের যে অভিযোগ উঠেছে, তা-ও ঠিক নয় বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অভিযান চলাকালে গত এক সপ্তাহে স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাধারণত এক সপ্তাহে ১০ হাজারের মতো মানুষ সারা দেশে গ্রেপ্তার হয়। পুলিশের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ১৯৪ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির মধ্যে ১৫১ জন জেএমবি, ৭ জন জেএমজেবি, ২১ জন হিযবুত তাহ্রীর, ৬ জন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, ৩ জন আনসার আল ইসলাম, ৪ জন আল্লার দল, ১ জন হরকাতুল জিহাদের সদস্য এবং ১ জন আফগান ফেরত জঙ্গি। এই অভিযান চলাকালে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন সন্দেহভাজন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।এই অভিযান জঙ্গিদের ওপর একটা আঘাত উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গতকাল শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘হোমগ্রোন (দেশীয়) জঙ্গি যারা রয়েছে, তারা অত অর্গানাইজ (সংগঠিত) না। তারা অনেক শক্তিশালী বলে আমরা মনে করি না। আমাদের চ্যালেঞ্জ এটাই যে, কোনো অর্গানাইজেশন আমরা পাচ্ছি না। নেতা কে, কে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তা জানা যাচ্ছে না। তবে এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি না।’হাজার হাজার মানুষকে আটক করে অভিযানের মাধ্যমে ‘টার্গেট কিলিং’ আসলেই বন্ধ করা সম্ভব কি না, বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘বন্ধ করা সম্ভব কি না, এ মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে এটা কমানো সম্ভব। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল, গ্রেপ্তার হওয়াদের নিশ্চয়ই কেউ না কেউ সক্রিয় ছিল, যেটা আমাদের জানা নেই। কাজেই তাদের প্রতি একটা আঘাত পড়ছে। তারা চাপে আছে। কোনো ঘটনা ঘটানোর জন্য তারা পরিকল্পনা করবে, সেই জায়গাটা আমরা এখন দুর্বল করে দিয়েছি।’তবে মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল মনে করেন, পুলিশের বিশেষ অভিযান বিশেষত্ব হারিয়েছে। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রস্তুতি দেখে ও কর্মকর্তাদের কথা শুনে সবাই ধারণা করেছিল যে সাম্প্রতিক হত্যা ও হামলাগুলো পরিচালনাকারী জঙ্গি, হত্যাকারী বা পরিকল্পনাকারীদের ধরার জন্যই এ বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ এ রকম কতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমাদের এ ধারণা যদি ভুল হয়, তাহলে পুলিশ সেটি দেখাক।’অভিযানে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে—পুলিশের এ বক্তব্য সম্পর্কে সুলতানা কামাল বলেন, গণগ্রেপ্তার কি না, সেটা থেকে বড় বিষয় হচ্ছে, অভিযানের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে কি না। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, সাধারণভাবে যদি এতজন গ্রেপ্তার হতে থাকে, তাহলে এই অভিযান কেন বিশেষ অভিযান হলো? বিশেষ অভিযানের বিশেষত্বটা কী?গ্রেপ্তার-বাণিজ্য: অভিযানের প্রথম চার দিনে বগুড়ার পুলিশ ৩৭২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। তবে ওই কয় দিনে পুলিশ মাত্র ১৭১ জনকে আদালতে সোপর্দ করে। বাকি ২০১ জন থানা থেকে হাওয়া। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ বিপুলসংখ্যক লোককে আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। তবে যথারীতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বগুড়ার পুলিশ। যদিও পুলিশের গ্রেপ্তারের হিসাব আর আদালতের হিসাবের গরমিলই বলে দেয় প্রকৃত ঘটনা কী।পুলিশের বিশেষ অভিযানের তৃতীয় দিন রোববার সন্ধ্যায় মাগুরা সদরের বেড় আকসি কাঠের পুল এলাকা থেকে চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরদিন স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় জনপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা ঘুষ দিয়ে তাঁরা থানা থেকে ছাড়া পান।আটক হওয়া নিতীশ কুমার রাজবংশী নামে বেড় আকসি গ্রামের মৎস্য খামারি প্রথম আলোকে বলেন, ওই দিন রাত নয়টার দিকে তিনিসহ চারজন বাড়ির কাছে কাঠের পুল এলাকায় বসে গল্প করছিলেন। মাগুরা সদর থানার এসআই নিমাইবাবু সেখানে গিয়ে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ইউপি সদস্য সেলিম মাহমুদের মধ্যস্থতায় কিছু টাকা ঘুষ দিয়ে পরদিন থানা থেকে ছাড়া পান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘এখন তো এ রকম হয়রানি চলছে। ওদের ছাড়াতে জনপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা করে লাগছে। ধলহরা গ্রামের আরেকজনও ছিল। আমাদের চারজনের সঙ্গে তাঁকেও ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই নিমাইবাবু প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষ অভিযানে অনেককে ধরা হয়েছিল। তাই কোন বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে, তা তিনি স্মরণ করতে পারছেন না।গ্রেপ্তার অভিযানে এ রকম ঘটনার কথা বলছেন অনেকেই। কিন্তু পরে আরও হয়রানির শঙ্কায় কেউ গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ্যে কথা বলতে চাননি।জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নির্মূল হোক, এটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু ১৯৪ জনকে ধরতে গিয়ে যে ১১ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হলো, তাদের কী অভিযোগে ধরা হলো? প্রশ্ন রাখা যায়, অশুভ পন্থায় শুভ কোনো কিছু অর্জন করা যায় কি না?’  পাঁচ দিনে গ্রেপ্তার ১১ হাজার, সন্দেহভাজন জঙ্গি ১৯৪  দুই দিনের হিসাব পাওয়া যায়নি  পুলিশ বলছে, স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি গ্রেপ্তার
233,288
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫২
০৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,অপরাধ,বিশাল বাংলা
null
গ্রন্থাগারের পুরোনো বই কেজি দরে বিক্রির চেষ্টা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/91654
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাত হাজার ৬৮৮টি পুরোনো ও দুর্লভ বই কেজি দরে ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে তারা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে বইয়ের ক্রেতাকে মূল্য ফেরত দিতে বাধ্য হয়।বই বিক্রির নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ছিল বইগুলো পড়ার অনুপযোগী। কিন্তু বইগুলো ঘেঁটে দেখা যায়, অধিকাংশ বই-ই পড়ার উপযোগী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে নিক্তিতে বই মাপতে দেখে কয়েকজন শিক্ষার্থী এর কারণ জানতে চান। এ সময় গ্রন্থাগারের এক কর্মকর্তা জানান, বইগুলো গত বুধবার নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে।তখন শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করেন এবং বইয়ের ক্রেতাকে টাকা ফেরত দিতে বলেন। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষক গ্রন্থাগারের সামনে উপস্থিত হন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাধায় প্রশাসন বইয়ের ক্রেতাকে বিক্রীত বইয়ের মূল্য ফেরত দেয়। বইগুলো বর্তমানে গ্রন্থাগারের ভেতরের করিডরে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি এক সিন্ডিকেট সভায় গ্রন্থাগারের সাত হাজার ৬৮৮টি বই নিলামে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়। ওই সময় উপাচার্য ছিলেন শরিফ এনামুল কবীর। সেই বইগুলো গত বুধবার নিলামে তোলা হয়। নিলামের আগে প্রতিটি বিভাগে এ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর কথা থাকলেও বেশ কয়েকটি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তারা নিলামসংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি।শিক্ষার্থী সামজীর আহমদ, সাকীব রাফসান ও সৈকত সাদিক বলেন, পুরাতন ও দুর্লভ বই গ্রন্থাগারেই সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু প্রশাসন তা না করে বই বিক্রি করে দিচ্ছে। এ ধরনের কাজকর্ম থেকেই প্রশাসনের শিক্ষা সহায়ক মনোভাব বোঝা যায়।বই বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আফসার আহমদ বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। জানার পর বই বিক্রিসংক্রান্ত সব কাজকর্ম স্থগিত করতে বলেছি।’
33,470
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ জুন ২০১৬, ১৭:৫৭
৩০ জুন ২০১৬, ১৮:১০
সরকার
null
এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে : ওবায়দুল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/904261
রাস্তার অবস্থা গত কয়েক বছরের তুলনায় ভালো হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাস্তার কারণে কোনো ধরনের যানজট হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, এটি এবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদের উপহার। এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে স্বস্তিদায়ক হবে। এবার রাস্তা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ভালো রাস্তার কারণে যানজটের আশঙ্কা কমে যাবে।ভিআইপিদের কারণে ঈদের সময় যানজটের সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভিআইপিরা যখন ঈদের সময় রং সাইড দিয়ে চলেন, তখন খুব সমস্যা হয়। তখন আমরা আর যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এ জন্য আপনাদের মাধ্যমে আমি সবার কাছে অনুরোধ করব, যে যত বড় নেতাই হোন, যত প্রভাবশালী মন্ত্রীই হোন, জনস্বার্থে রাইট সাইডের রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আমি তো রং সাইড দিয়ে চলি না।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক চালু হলে দেশের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের উদ্বোধনের পর দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া এবং আসা যাবে।
236,975
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ জুলাই ২০১৪, ০১:০৯
০৭ জুলাই ২০১৪, ০১:০৯
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
সন্ত্রাসী নুরু গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/260719
চট্টগ্রামে নুরুল আলম ওরফে নুরু (৪০) নামের এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোরে নগরের আকবর শাহ ইস্পাহানি রেলগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এলজি ও তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।নগরের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে জানান, গ্রেপ্তার নুরুর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, অস্ত্রসহ বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে মাটির নিচ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
75,647
আবদুস সালাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১৯
১৩ এপ্রিল ২০১৯, ১১:১৮
ছবির গল্প,বৈশাখী মেলা,পোশাক,পয়লা বৈশাখ,বাংলা বর্ষবরণ
0
পোশাকে বৈশাখের ছাপ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1588095
পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্লকের কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। নারীরা চান তাদের পোশাকে ফুটে উঠুক বৈশাখের রং ও নকশা। কাঠে খোদাই করা নকশার ব্লকে রং লাগিয়ে কাপড়ে ছাপ দিয়ে যাচ্ছেন কারিগরেরা। একটি শাড়ি ও একটি থ্রিপিসে ব্লকের কাজ করাতে খরচ হয় ৩৫০ টাকা করে। বেডশিটে ব্লকের কাজ করাতে খরচ হবে ১ হাজার ৪০০ টাকা। টেবিল ক্লথের জন্য খরচ ১৫০ টাকা। এই খরচ নির্ভর করে নকশা ও রঙের ওপর; যত বেশি নকশা ও রং, খরচ তত বেশি। ছবিগুলো বুধবারের।
397,406
কলকাতা প্রতিনিধি
international
আন্তর্জাতিক
০৭ জুলাই ২০১৭, ০০:০২
০৭ জুলাই ২০১৭, ০০:০২
ভারত
0
মাদার তেরেসার সেই শাড়ি
http://www.prothom-alo.com/international/article/1240976
মাদার তেরেসা যে নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে বিশ্ব ঘুরেছেন, আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত হয়েছিলেন, সেই শাড়ির এবার প্যাটেন্ট নিল মাদার তেরেসার গড়া সংগঠন মিশনারিজ অব চ্যারিটি। এখন থেকে এই শাড়ি মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রতীক হিসেবে গণ্য হবে।মিশনারিজের আইনজীবী বিশ্বজিৎ সরকার গত বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইন অনুযায়ী ওই প্যাটেন্ট নেওয়া হয়েছে। ভারতে এই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান পোশাকের প্যাটেন্ট নিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই আইনজীবী।মাদার তেরেসা কলকাতায় আমৃত্যু আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। আর গত বছর ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ মাদার তেরেসাকে সন্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে মাদারের অনুগামী সন্ন্যাসীরা মাদারের সেই নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে উপস্থিত ছিলেন। এখনো মিশনারিজের সন্ন্যাসীরা ওই নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পরিধান করেন।
324,858
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
০৭ মার্চ ২০১৫, ১৭:৩৮
০৭ মার্চ ২০১৫, ১৭:৪০
মাঠের বাইরে (ক্রিকেট),আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,বিশ্বকাপ উৎসব
null
কেন পারে না দক্ষিণ আফ্রিকা?
http://www.prothom-alo.com/sports/article/470554
৮৯ বলে দরকার ৩২ রান; দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে ২ উইকেট। এর চেয়েও বড় ব্যাপার, পাকিস্তানি বোলারদের ‘ত্রাস’ হয়ে উইকেটে বুক চিতিয়ে লড়ছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রচণ্ড চাপেও রানের গতি এগিয়ে নিচ্ছেন দারুণ গতিতে। ঠিক এ সময়ই সব এলোমেলো। সোহেল খানের শর্ট বলটা লং-অন দিয়ে সীমানা পার করার ভাবনায় ‘এবি’র টাইমিংয়ে গড়বড়, ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল উইকেটরক্ষক সরফরাজের গ্লাভসে। নিজের উইকেটই নয়, প্রোটিয়া অধিনায়ক দারুণ এক জয়ের স্বপ্নটাও ছুড়ে এলেন মাঠে!যদিও আজকের ম্যাচে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার সব শেষ হয়নি। তবে প্রোটিয়ারা আবারও সেই শব্দটির অনুরণন তোলার সুযোগ করে দিল-‘চোকার্স! চোকার্স! ’ ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুঃখজনক সেই বিদায়ে না হয় বৃষ্টিকে দায়ী করা যেতে পারে। ২০০৭ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারটাকেও না হয় বলা গেল, দুর্দান্ত এক দলের কাছে হেরেছে তারা। কিন্তু ১৯৯৬,১৯৯৯, ২০০৩,২০১১ বিশ্বকাপে হারকে কী বলা যায়?গত বিশ্বকাপে মিরপুরে সেই কোয়ার্টার ফাইনালের কথা মনে আছে? নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২২২ রানের লক্ষ্য পেরোতে গিয়ে গোত্তা খেয়ে পড়ল প্রোটিয়াদের ইনিংস। ৪৩.২ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে ৪৯ রানের পরাজয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় দক্ষিণ আফ্রিকার। সমর্থকদের এমন দীর্ঘশ্বাস উপহার দিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। কথা হলো, বিশ্বকাপে কেন এমন ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা?যুক্তিবাদীরা বলবেন, ‘চাপ’। দুই অক্ষরের এ শব্দটা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এভারেস্টের চেয়ে বড়। পরাজয়ের ছায়া দেখেই অসহায় আত্মসমর্পণ করা যেন প্রোটিয়াদের অলিখিত রীতি। কখনো কখনো সেটা এমনই ভয়ংকর রূপ ধারণ করে, স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধিও লোপ পায় প্রোটিয়াদের। এর বাইরে আরও একটা ব্যাপার রয়েছে ‘অভিশাপ’। বিশ্বকাপ শব্দটাই যেন বড় অভিশাপ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।নইলে হাতের মুঠোয় জয় এসে যাওয়ার পরও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ল্যান্স ক্লুজনার অমন পাগলাটে দৌড় দেবেন কেন? কেনই বা ২০০৩ বিশ্বকাপে ডাক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি বুঝতে ভুল করবে? কেন ২০১১ বিশ্বকাপে সাধারণ এক নিউজিল্যান্ড কিংবা এবার বিপর্যস্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে প্রতিভাধর সব ব্যাটসম্যান নিজের উইকেটটা সহজলভ্য করে তুলবেন?অবশ্য নকআউট পর্ব শুরু হয়নি। কাজেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতার ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত সময় এখনো আসেনি। কিন্তু অন্যতম ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে আসা প্রোটিয়ারা অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপে পড়ে যেভাবে দুটি ম্যাচ (ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে) হারল, তাতে ওই শব্দটা যেন আবারও উচ্চকিত-চোকার্স! চোকার্স!
120,998
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫১
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫১
বিশাল বাংলা,রাজনীতি
0
বোয়ালখালীতে আ.লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১০
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1086349
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা শহীদ ওয়াজেদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার জন্য উভয় পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ একই সঙ্গে ফুল দিতে গেলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের অনুসারী উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে শ্রমিকনেতারা শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের অনুসারীরা শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তাঁদের ধাক্কায় শ্রমিক লীগের দেওয়া পুষ্পস্তবকটি ভেঙে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পুলিশ উপজেলা পরিষদের ভেতর থেকে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাইরে উপজেলা সদরের সামনে কয়েক দফায় তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (একাংশ) মুক্তিযোদ্ধা এস এম সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এস আলম ও জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম, রায়হান, মো. জাফর, মো. সোলেমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষের পর রাত দেড়টার দিকে উপজেলা শ্রমিক লীগ একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশে স্থানীয় সাংসদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি আবুল কালাম অনুসারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।আবুল কালামের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন অভিযোগ করেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এ ন্যক্কারজনক ঘটনা তাঁরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবেন।উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন তালুকদারের অভিযোগ, তাঁদের দেওয়া পুষ্পস্তবক অবৈধ কমিটির লোকজন ভাঙচুর করেছে।বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশ উপজেলা চত্বরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেয়নি। তবে ফুল দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
295,979
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
১০ জুন ২০১৬, ০১:৫৭
১০ জুন ২০১৬, ০১:৫৯
খেলা,দেশের ফুটবল
0
ঐতিহ্য ভেঙে মাঠে ফেডারেশন কাপ
http://www.prothom-alo.com/sports/article/883684
ফেডারেশন কাপের ৩৬ বছরের ইতিহাসটা এবার বুঝি বদলেই গেল! এই টুর্নামেন্ট দিয়েই বরাবর পর্দা উঠত বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের। কিন্তু এবার ঘরোয়া ফুটবল শুরু হয়েছে স্বাধীনতা কাপ দিয়ে, গত মার্চে।ফেডারেশন কাপটা তাই পিছিয়ে গেছে। তবু ভালো যে দেরিতে হলেও আজ মাঠে গড়াচ্ছে টুর্নামেন্টটি। এবার বাফুফের বর্ষপঞ্জিতে ফেডারেশন কাপের নির্দিষ্ট সময়ই ছিল না! ইউরোপের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোর আদলে লিগের ফাঁকে ফাঁকে ফেডারেশন কাপ আয়োজনের চিন্তাভাবনাও একবার করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওই পথে হাঁটেননি কর্তাব্যক্তিরা।ভবিষ্যতে ঐতিহ্য ধরে রাখার পক্ষে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির সভাপতি সালাম মুর্শেদী। বাফুফে ভবনে কাল সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন, ‘ফেডারেশন কাপের গুরুত্ব আমরা কমাব না। বরং বাড়াব। এবার নানা কারণে টুর্নামেন্টটা দেরিতে হচ্ছে। তবে অতীতে যেভাবে ছিল, ফেডারেশন কাপ দিয়েই আগামীতে আমরা মৌসুম শুরু করব।’কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাফুফের বর্ষপঞ্জি পরিকল্পনা এতই অগোছালো যে, ক্ষণে ক্ষণে তা বদলে যায়। একটা টুর্নামেন্টের সূচি অন্তত পাঁচ-সাতবার বদলায়। এই ফেডারেশন কাপে কতবার সূচি বদলাতে পারে তা নিয়ে বরং রসিকতা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সালাম মুর্শেদী যথারীতি নানা সীমাবদ্ধতার কথা বললেন।এবারের টুর্নামেন্টে ‘সময়স্বল্পতার’ দোহাই দিয়ে বাছাইপর্বটাও করা হয়নি। প্রিমিয়ারের ১২ দল চার গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে সরাসরি। শীর্ষ দলগুলোর কাছে এটি লিগের প্রস্তুতি হলেও লড়াইটা তীব্রই হবে মনে হচ্ছে। শেখ জামাল শিরোপা জয়ের হ্যাটট্রিক করতে পারে কি না, সেই কৌতূহলও থাকছে।প্রথম দিনেই মাঠে নামছে দুই দর্শকপ্রিয় দল মোহামেডান ও আবাহনী। তেব চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের ম্যাচ রাখা হয়নি উদ্বোধনী দিনে! এর চেয়েও বড় খবর, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মামুনুল, জামাল ভূঁইয়াসহ আট ফুটবলার এই টুর্নামেন্ট দিয়ে ঘরোয়া ফুটবলে ফিরছেন।১৭ দিনের টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় ও সেরা গোলদাতাকে এলইডি টিভি উপহার দেবে স্পনসর ওয়ালটন। প্রতি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের জন্যও থাকছে উপহার। এত এত আয়োজন। মাঠে ভালো খেলার দায়িত্ব এখন খেলোয়াড়দের!আজকের খেলামোহামেডান-রহমতগঞ্জ, আবাহনী-আরামবাগ(বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭-৩০ মি., বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)
230,776
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:১৭
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২৪
সরকার
null
চাল নিয়ে তর্কে জড়ালেন মন্ত্রী-ব্যবসায়ীরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1327541
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এ জন্য তাঁরা সরকারের কাছে চাল আমদানি ও পরিবহনে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছেন। সেই সঙ্গে স্থলবন্দর দিয়ে চালবাহী ট্রাকগুলো যাতে দ্রুত আসতে পারে, সে ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে।আজ মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সরকারের তরফ থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থ মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশের চালকল মালিকদের সংগঠনগুলোর নেতারা ও খাদ্যপণ্যের ব্যবসা করেন—এমন কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দেশে চালের কোনো সংকট নেই এবং সারা দেশে প্রায় এক কোটি টন চাল আছে—এ মন্তব্য করে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে উল্টো সরকারের নানা নীতির সমস্যা ও সময়মতো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন।কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দেশে এক কোটি টন চাল মজুত আছে জানিয়ে অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা মোটা চাল মেশিন দিয়ে কেটে মিনিকেট বানান। ব্যবসায়ীরা তাঁর এ বক্তব্যেরও প্রতিবাদ করেন। চালকল মালিক চিত্ত মজুমদার বলেন, ‘আপনার মতো একজন সিনিয়র মন্ত্রীর কাছে আমরা এ ধরনের মন্তব্য আশা করি না। কোথায় এক কোটি টন চাল মজুত আছে, আমাদের দেখান।’ এরপর ব্যবসায়ীরা একে একে চালের দাম বাড়ার কারণগুলো তুলে ধরেন। দিনাজপুরের জহুর অটো রাইস মিলের মালিক আবদুল হান্নান নিজেকে সরকারদলীয় সমর্থক পরিচয় দিয়ে বলেন, চালের আমদানি শুল্ক কমাতে গিয়ে অনেক সময় নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে কমানো হয়েছে। এসব কারণে দাম বেড়েছে।চিত্ত মজুমদার বলেন, ‘সরকার ভারত থেকে বেশি দামে চাল আমদানি করছে। কিন্তু আমাদের যদি দায়িত্ব দিত, তাহলে আমরা সরকারের চেয়ে কম দামে ভারত থেকে চাল এনে দিতে পারতাম।’সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি যখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন ভারত থেকে চাল আমদানি করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। মাত্র পাঁচ লাখ টন চাল আনার চুক্তি করেও কোনো চাল আনতে পারিনি। পরে ভিয়েতনাম থেকে চাল এনে সংকট মোকাবিলা করেছি।’খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের চালের দাম কমানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘সরকার নিজেও আমদানি করে মজুত বাড়াচ্ছে। আগামীকাল থেকে ৫০ লাখ মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আগামীকাল থেকে সারা দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) কর্মসূচি চালু করছি।’চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম লায়েক আলী বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা কমে যাবে।
338,886
নিজস্ব প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
৩১ মার্চ ২০১৬, ২২:৪৫
৩১ মার্চ ২০১৬, ২২:৪৭
মঞ্চ
0
‘লাল জমিন’ এর শততম মঞ্চায়ন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/815836
শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘লাল জমিন’ এর শততম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হলো। রেপার্টরি থিয়েটার ‘শূন্যন’ এর প্রযোজনায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মঞ্চায়ন হয় এই নাটকটি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘লাল জমিন’ নাটকের কাহিনি। মান্নান হীরার রচনায় নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সুদীপ চক্রবর্তী। নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন: মোমেনা চৌধুরী। নাটকটির সংগীত পরিচালনা করেছেন জুলফিকার চঞ্চল ও রামিজ রাজু। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন বারী সিদ্দিকী, রামিজ ও নীলা।আজ নাটকটি মঞ্চায়নের আগে তিনজনকে বীরাঙ্গনাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।প্রসঙ্গত: ২০১১ সালের ১৯ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডলে ‘লাল জমিন’ নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ দেশের বাইরের বিভিন্ন স্থানে নাটকটির মঞ্চায়ন হয়।
215,624
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জুন ২০১৬, ০১:১৩
১০ জুন ২০১৬, ০১:১৪
মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
টিলায় ফাটল, ঝুঁকিতে পর্যটকেরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/883480
বাংলাদেশের পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের টিলায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এতে এখানে আসা পর্যটকেরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। ২২ দিন এই পরিস্থিতি থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে টিলা ধসে যেকোনা সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৭ ও ১৮ মে টানা ভারী বর্ষণে জলপ্রপাতের ভেতরে পানি পড়ার স্থানে যাওয়ার রাস্তার এক পাশের একটি টিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ সময় ভূমিধসে জলপ্রপাতের পানি পড়ার স্থানে পর্যটকদের বিশ্রাম নেওয়ার একটি ছাউনি, পর্যটক পুলিশের (টু৵রিস্ট পুলিশ) চৌকি ও একটি শিবমন্দির ভেঙে পড়ে। ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় টিলায় ফাটল আরও বেড়ে যায়। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, টিলার প্রায় ৩০ শতক জায়গাজুড়ে প্রায় এক ফুট চওড়া ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিচের সড়কটি মূল সড়ক থেকে প্রায় দুই ফুট দেবে গেছে। সেখানে লাল পতাকা টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকেরা ওই সড়ক দিয়েই হেঁটে জলপ্রপাতের পানি পড়ার স্থানে যাচ্ছেন।চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এলাকা থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী ফাটল দেখে ভয় পেয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের তিনি ধরে ধরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি পার করে দেন।মাধবকুণ্ডে টিলার দায়িত্বে থাকা পর্যটক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, প্রতিদিন তিন-চার হাজার পর্যটক মাধবকুণ্ড বেড়াতে আসেন। সামনে ঈদুল ফিতর। তখন পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে। টিলায় ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি সাবধানে অতিক্রম করতে পর্যটকদের পরামর্শ দেওয়া হয়।মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক দেখভালের দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল মোজাহীদ গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিলাটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টিলাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় নিচের সড়ক দিয়ে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করার চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের তখন জলপ্রপাত না দেখে ফিরে যেতে হবে, সে কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে।’
230,839
-1
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৯
১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪০
গবেষণা,বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
0
এবার স্মার্ট জুতা, তৈরি হবে বিদ্যুৎ
http://www.prothom-alo.com/technology/article/425086
এবার জুতা থেকেই তৈরি হবে বিদ্যুৎশক্তি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জুতার আকারের এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন জার্মানির একদল গবেষক। এটি ব্যবহারকারী হাঁটা-চলা করলে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।পরিধানযোগ্য বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সংবেদী যন্ত্র বা সেনসরে ব্যাটারি যুক্ত করতে হয়। কিন্তু নতুন এই যন্ত্রে ব্যাটারি ব্যবহারের দরকার হবে না।নতুন যন্ত্রটিতে দুটি পৃথক অংশ রয়েছে শক হার্ভেস্টার ও সুইং হার্ভেস্টার। পৃষ্ঠতলে গোড়ালি আঘাত করলে প্রথমটি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। আর পা দোলানোর সময় দ্বিতীয় অংশটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। বিজ্ঞানীরা একই প্রযুক্তিতে আরেক ধরনের জুতা তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন, যার ফিতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আটকাবে। এই জুতা বয়স্কদের জন্য বিশেষ উপযোগী হতে পারে। তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদনটি স্মার্ট ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড স্ট্রাকচার্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।জার্মানির ভিলিনজেন-শোয়েনিংগেন শহরের এইচএসজি-আইএমআইটি গবেষণাকেন্দ্রের একদল বিজ্ঞানীর ওই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ক্লেভিস ইলি। তিনি বলেন, তাঁরা তাঁরবিহীন একটি প্রেরকযন্ত্র এবং একটি সরল সেনসরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই বিশেষ জুতা পায়ের গতিবৃদ্ধি ও কৌণিক বেগ পরিমাপ করতে পারে। পাশাপাশি পা কোনো দিকে ঘুরছে কি না এবং চৌম্বক ক্ষেত্রও নির্ণয় করে। কোন দিকে ও কতটুকু পথ হাঁটা হয়েছে তা সেনসরগুলোর তথ্য-উপাত্ত থেকে হিসাব করা যাবে। অচেনা জায়গায় গিয়ে উদ্ধারকর্মীরা এ ধরনের জুতা পায়ে দিয়ে কাজ করলে বিশেষ সুবিধা পাবেন।বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনকারী অধিকাংশ যন্ত্রই চুম্বক এবং কুণ্ডলীর (কয়েল) মধ্যকার নড়াচড়াকে কাজে লাগায়। চলমান কোনো চুম্বকের চৌম্বক ক্ষেত্র যখন নির্দিষ্ট কয়েলকে অতিক্রম করে যায়, তখন ভোল্টেজ ওঠানামা করে এবং বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি হয়। এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীদের উৎপাদিত বিদ্যুৎশক্তি তুলনামূলক কম শক্তিশালী—মাত্র তিন থেকে চার মিলিওয়াট। যেমন: এটি কোনো স্মার্টফোন চার্জ করার জন্য যথেষ্ট নয়। স্মার্টফোন চার্জ করতে হলে প্রায় দুই হাজার মিলিওয়াট শক্তির প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ছোট ছোট সেনসর ও ট্রান্সমিটার চার্জ করার জন্য নতুন যন্ত্রটি পর্যাপ্ত শক্তি জোগান দিতে পারে। ফলে নতুন প্রজন্মের ছোট আকারের যন্ত্রপাতির নতুন ধরনের প্রয়োগ বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা কাজে লাগবে।ইলি বলেন, জুতার তলায় একধরনের লিভার স্থাপন করে শক্তি উৎপাদনের চেষ্টা আগেও করা হয়েছে। কিছু বৈদ্যুতিক বাতিতেও গিয়ার বক্স বা বৈদ্যুতিক জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। এগুলো ২৫০ মিলিওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে জুতায় অনেক বড় বড় ও ভারী জিনিসপত্র বহন করতে হয়।ইলি আরও বলেন, আকারের কথা বিবেচনা করলে এই জুতা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ হয়তো খুবই কম। ছোট ছোট যন্ত্রপাতির ব্যবহারে এই প্রযুক্তি নতুন মাত্রা যোগ করবে। সুইং হার্ভেস্টর তৈরি করা হয়েছে প্রবীণদের ব্যবহারোপযোগী জুতা উদ্ভাবনের লক্ষ্য নিয়ে। এ ধরনের জুতা নিজে নিজেই বুঝতে পারবে কখন তার ভেতরে পা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ফিতাগুলোও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাঁধা হয়ে যাবে। প্রয়োজনের সময় একই উপায়ে সেই বাঁধন খোলাও সম্ভব হবে।সূত্র: বিবিসি
107,299
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ মে ২০১৯, ২১:৫৪
১৩ মে ২০১৯, ১৬:৩৬
অপরাধ,রাজধানী,বনানী,খুন,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ
null
ইফতার করার জন্য বাস থামাতে বলায়...
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1593582
বাস চালককে বাসযাত্রী হারুন বলেছিলেন, ‘ভাই, আমি ইফতারি করব। বাসটি একটু থামান। আমি নামব।’হারুনের কথায় মন গলেনি বাস চালকের। বাসটি চালতে থাকে। এর মধ্যেই চলন্ত গাড়ি থেকে চালকের সহকারী ধাক্কা দিয়ে হারুনকে নামিয়ে দিতে গেলে সড়কেই পড়ে যান হারুন। এরপর ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান চব্বিশ বছর বয়সী যুবক হারুন।বনানীতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন রং মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন।বাস চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় ঘাতক বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানা-পুলিশ। তাঁর নাম বাহাদুর আলী (৪৪)।তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিবুল হাসান আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ইফতার করার জন্য হারুন বাস চালককে বাস থামানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বাস চালক বাহাদুর তখন বাস থামাননি। চালকের সহকারী চলন্ত বাস থেকেই ধাক্কা দিয়ে হারুনকে নামিয়ে দেন। তখন হারুন বাসের চাকায় পিষ্ট হন। ঘটনাস্থলে মারা যান হারুন। প্রাথমিক তদন্তে এই তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন।হারুনকে কীভাবে বাস চাপা দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, সেই রহস্য জানার জন্য চালক বাহাদুরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আজ আবেদন করে পুলিশ। চালক বাহাদুরকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি নিয়ে আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত চালক বাহাদুর আলীকে একদিন পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।পুলিশ কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান জানান, গতকাল সন্ধ্যার সময় তিনি বনানী এলাকায় অবস্থান করছিলেন। বনানী থানার বিমানবন্দর সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন, এমন খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশপাশের লোকজনদের সঙ্গে তখন কথা বলেন। জানতে পারেন, বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে হারুনকে মেরে ফেলা হয়েছে। বাস চাপা দেওয়ার পর বাসটি দ্রুত গতিতে এলাকা ছাড়ে। বনানী থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত চলেও যায়। তখন পুলিশ খবর পেয়ে ঘাতক বাসচালক বাহাদুর আলীকে আটক করে। চালকের সহকারী পালিয়ে গেছেন।বনানী থানা-পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, বাস চালক বাহাদুরের নির্দেশে সহকারী আলম হারুনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান তিনি।পুলিশ বলছে, চালক বাহাদুরের ভারী যান বহন চালানোর কোনো লাইসেন্স ছিল না। চালকের সহকারী ছাড়া বাসের কন্ডাক্টর কে ছিলেন তাঁর নাম বলতে চাইছেন না। এসআই রাজিবুল হাসান বলেন, চালক মুখ খুলতে চাইছেন না। চালক বলতে চাচ্ছেন, বাসের যে কন্ডাক্টর ছিলেন তাঁর নাম তিনি জানেন না। হারুনের মৃত্যুর ঘটনার এই মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান এসআই রাজিবুল।হারুনের মৃত্যুর ঘটনায় বাস চালক বাহাদুর ও চালকের সহকারী আলমের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হলেন হারুনের মা রানী বেগম। হারুনের মা মামলায় বলেছেন, শেরপুরে যাওয়ার জন্য তাঁর ছেলে মহাখালী থেকে খেয়া পরিবহনের বাসে ওঠেন। ইফতারি করার জন্য তাঁর ছেলে বাস চালককে বাস থামাতে বলেন। কিন্তু যথাযথভাবে বাস না থামিয়ে ধাক্কা দিলে হারুন বাসের চাকায় পিষ্ট হয়।হারুনের পরিবার বলছে, কয়েক মাস আগে বিয়ে করেন হারুন। স্ত্রী আর মাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের আটিপাড়ায়। হারুনের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলায়। তাঁর স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। স্ত্রীকে আনার জন্য শনিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জ থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যান হারুন। শেরপুরগামী খেয়া পরিবহনে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ বাসটি বনানী পর্যন্ত পৌঁছায়।হারুনের মামা মো. মনির আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, হারুনের আয়ে সংসার চলত। কেরানীগঞ্জের রংমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতেন। হারুনের মা মাটি কাটার কাজ করেন। হারুনরা তিন ভাই। হারুন সবার বড়। অপর দুই ভাইয়ের একজনের বয়স ১১, আরেকজনের নয় বছর। হারুনের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার পথে বসে গেছে।মনির আরও জানালেন, হারুনের স্ত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা।
401,584
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৪৫
০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১৬:২৬
ভারত
0
এএপির কার্যালয়ে হামলা
http://www.prothom-alo.com/international/article/118455
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির (এএপি) গাজিয়াবাদের কার্যালয়ে আজ বুধবার হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল লোক।টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ সময় কার্যালয়ে উপস্থিত দলটির কয়েকজন নেতাকে হুমকি দেয় ও লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এএপির নেতা দিলীপ পাণ্ডে দাবি করেন, ‘হিন্দু রক্ষা দল’ নামের একটি গোষ্ঠীর প্রায় ৪০ জন লোক এই হামলা চালায়। হামলাকারীরা পাথর ছুড়ে কার্যালয়ের জানালা ও ফুলদানি ভাঙচুর করেছে।সম্প্রতি দলটির নেতা প্রশান্ত ভূষণ কাশ্মীর নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্যের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
41,802
-1
international
আন্তর্জাতিক
২৬ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৬
২৬ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৬
এশিয়া
0
নির্বাচন স্থগিতের ইঙ্গিত দিল থাই সরকার
http://www.prothom-alo.com/international/article/131728
থাইল্যান্ডে আগাম নির্বাচন স্থগিতের পক্ষে সাংবিধানিক আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ক্ষমতাসীন পুয়ে থাই পার্টি। তবে শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচন স্থগিতের ইঙ্গিত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়ার নেতৃত্বাধীন দলটি। এর মধ্যেই আজ রোববার আগাম ভোট নেওয়া হচ্ছে।সাংবিধানিক আদালত পূর্বঘোষিত ২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ আছে বলে শুক্রবার রায় দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল শনিবার পুয়ে থাই পার্টির পক্ষ থেকে আদালতের এ রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।নির্বাচন স্থগিতের আদেশ চেয়ে করা নির্বাচন কমিশনের আবেদনে আদালত বলেছিলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নির্বাচন স্থগিতের অধিকার কমিশনের রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হতে হবে।গতকাল ইংলাকের দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে আদালতের দেওয়া এই রায়ের শক্ত আইনি ভিত্তি নেই। এর পরও সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা করার জন্য প্রস্তুত। তবে এ ক্ষেত্রে বিরোধী ডেমোক্র্যাট পার্টিকে নতুন নির্বাচনের বৈধতার স্বীকৃতি এবং তাতে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এ ছাড়া আন্দোলন বন্ধ করতে হবে।এসব শর্ত সম্পর্কে ডেমোক্র্যাট পার্টির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বিরোধী দলের নেতা সুথেপ থাগসুবানের বরাত দিয়ে ব্যাংকক পোস্ট পত্রিকা জানিয়েছে, আজ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে তাঁর সমর্থকেরা বাধা দেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সুথেপ। কিন্তু কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ করা হবে।এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে তাদের আলোচনা হতে পারে।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০ লাখের বেশি ভোটার আগাম ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী ও প্রবাসী শ্রমিক। ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না তাঁরা। বিবিসি ও এপি।
46,627
-1
sports
খেলা
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:২৬
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:২৯
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
ডি ককের দিন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/760459
৬৭ বলে সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে কম বয়সী ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০০ রান। ব্লুমফন্টেইনে প্রথম ওয়ানডেটা জয় ছাড়া আর সবকিছুই দিয়েছে কুইন্টন ডি কককে। পরশু ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের দিন ডি ককের বয়স ছিল ২৩ বছর ৪৮ দিন। ২৩ বছর ১৬২ দিন বয়সে ২ হাজার রান করে এত দিন রেকর্ডটা ধরে রেখেছিলেন জ্যাক ক্যালিস। ২ হাজার রান ছুঁতে ৫৩ ইনিংস খেলেছেন ডি কক, দক্ষিণ আফ্রিকানদের মধ্যে শুধু গ্যারি কারস্টেন (৫০ ইনিংস) ও হাশিম আমলাই (৪০) কম ইনিংসে ২০০০ পেরিয়েছেন। ডি কক ৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরিই করেছেন উইকেটকিপার হিসেবে। প্রোটিয়া কিপারদের মধ্যে শুধু এবি ডি ভিলিয়ার্স (১০) বেশি সেঞ্চুরি করেছেন ডি ককের চেয়ে।
198,944
নিজস্ব প্রতিবেদক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৩:১৮
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৩:১৯
-1
0
প্রযুক্তিতে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে
http://www.prothom-alo.com/technology/article/448201
প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তাঁদের এগিয়ে আসতে হবে বাধা ডিঙিয়ে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চার দিনের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলার প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত ‘টেক উইম্যান’ নামের সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বক্তারা।সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুইন্স ব্যুরোর ডিসট্রিক্ট লিডার উমা সেন গুপ্তা, নারী উদ্যোক্তা ফেডারেশনের চেয়ারপারসন রোকেয়া আফজাল রহমান, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরাসহ আরও অনেকে।উমা সেন গুপ্তা বলেন, ‘ছেলেদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখলে মেয়েরা অবশ্যই এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই এই ধারা সৃষ্টি হয়েছে। একটি মেয়েকে সফল হতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষা, সমর্থন এবং সুযোগ এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। সুযোগ পাওয়ার পর অনেক মেয়ের পরিবার এবং পরিবেশের কারণে বেশিদূর যেতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে প্রবল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে বাধা ডিঙিয়ে যেতে হকে তাঁকে।’রোকেয়া রহমান বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে নারীদের সমাজ ও পরিবারের সাহায্য বেশি দরকার।’হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমার মা খুব বেশি লেখাপড়া করেননি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি জানতেন লেখাপড়ার মূল্য। সন্তানদের তিনি লেখাপড়া করিয়েছেন। মায়ের এই সমর্থনের জন্যই তিনি এগিয়ে আসতে পেরেছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা যেন আইটিতে এগিয়ে যেতে পারেন, তাই নারীদের বিভিন্ন আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। ঘরে বসে কাজ করে আয় করার সুযোগ বেড়েছে।’তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এই সম্মেলনে বলেন, দেশের অর্ধেকই নারী। তাঁদের আর্থিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে আনলে দেশ এগিয়ে যাবে। নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি।ফিউচার ইজ হিয়ার- স্লোগানে শুরু হওয়া এই মেলার পর্দা নামবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
114,108
আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৩
২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৯
বগুড়া,দুর্ঘটনা
0
সড়কে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, ৯ মাসে ২৬৭ জনের প্রাণহানি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1007677
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। এ সড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পর থেকে উত্তরে গত পৌনে পাঁচ বছরে ১ হাজার ১০৮ জনের প্রাণ ঝরেছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসেই ২৬৭ জন নিহত ও ৫০০ জন আহত হয়েছেন। বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের নথি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।তবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ৪০ শতাংশ পুলিশের নথিভুক্ত হয়। প্রাণহানির বাকি ঘটনা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় না। সড়কে ৫১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে।হাইওয়ে পুলিশের বগুড়ার পুলিশ সুপার ইসরাইল হাওলাদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ যানবাহনের অতিরিক্ত ও বেপরোয়া গতি। মহাসড়ক ফাঁকা পেলেই নিয়ন্ত্রণহীন গতির লড়াইয়ে নামছেন চালকেরা। ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক (অতিক্রম) করছেন। গতি কমাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ ও চলাচলের অযোগ্য গাড়ি, ছাদে যাত্রী বহন, ভুয়া লাইসেন্সধারী ও অপেশাদার চালক এবং ট্রাফিক আইন না মানার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে। আবার অতিরিক্ত আয়ের আশায় চালকদের একটানা গাড়ি চালানো, ঘন ঘন লেন পরিবর্তন এবং ট্রাকে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বহনের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে।তবে বাস মালিক ও চালকেরা বলছেন ভিন্ন কথা। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনা বন্ধে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভটভটি, নছিমনসহ মহাসড়কে সব ধরনের অবৈধ যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে এসব যান চলাচল বন্ধ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ কারণে দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।ঢাকা-উত্তরবঙ্গ পথের একটি পরিবহনের চালক জাহিদুল ইসলামও একই ধরনের কথা বলেন।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বগুড়ার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোরছালিন বলেন, মোটরযান আইন অনুযায়ী মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। লোকালয়, বাজার, জনাকীর্ণ স্থান ও ঘন কুয়াশায় সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিলোমিটার। উত্তরের মহাসড়কে৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর সুযোগ নেই। অথচ মহাসড়কে বেশির ভাগ চালক অতিরিক্ত উপার্জনের লোভে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে গাড়ি চালান। এটা ধরার যন্ত্র শুধু হাইওয়ে পুলিশেরই রয়েছে। জনবলসংকটের কারণে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ সড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পর থেকে নলকা-হাটিকুমরুল, হাটিকুমরুল-বনপাড়া-নাটোর, নাটোর-রাজশাহী, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ, হাটিকুমরুল-বগুড়া, বগুড়া-নাটোর, বগুড়া-রংপুর, রংপুর-দিনাজপুর, দিনাজপুর-পঞ্চগড়, দেবীগঞ্জ-বোদা, পাগলাপীর-জলঢাকা-তিস্তা ব্যারাজ, রংপুর-বাংলাবান্ধা ১ হাজার ৩৫ কিলোমিটার মহাসড়ক এবং তৎসংলগ্ন ৯২৫ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কেরদেখভালকরা হয় হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া অঞ্চল থেকে। এসব মহাসড়কে চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৭০টিসহ পৌনে পাঁচ বছরে ৮৮৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।হাইওয়ে পুলিশের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রংপুর-সৈয়দপুর ও বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে। এর মধ্যে ২০ এপ্রিল রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জ উপজেলার তেরমাইল এলাকায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত ও ৪৯ জন আহত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে ৩ জুন ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে। এদিন শেরপুর উপজেলায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হন। সব মিলিয়ে চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৭ জন নিহত ও ৫০০ জন আহত হয়েছেন।২০১৫ সালে ১৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৬ জন নিহত এবং ৪৯১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে। গত বছরের ১৯ জুলাই ঈদের দিনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ-মুলাবাড়ি এলাকায় দুটি বাসের সংঘর্ষে ১৬ জন যাত্রী নিহত হন। এক দিন আগে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কে বানিয়াগাতী এলাকায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে ছয়জন প্রাণ হারান।২০১৪ সালে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ১৬০টি দুর্ঘটনায় ৩০৬ জনের প্রাণ ঝরেছে। আহত হয়েছেন ২০৮ জন। এ বছর সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে ২০ অক্টোবর হাটিকুমরুল-বনপাড়া-নাটোর মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার রেজির মোড়ে। এখানে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩২ জন প্রাণ হারান। ২০১৩ সালে ১২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২২৫ জন আহত হন। ২০১২ সালে ১৬০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৪ জন নিহত এবং ৩০২ জন আহত হয়েছেন।নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকদের দোষারোপ করে লাভ নেই। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে আগে যাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আইন না মানার মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। পেছন থেকে কোনো যান অতিক্রম করতে চাইলে তাকে সুযোগ দিতে হবে। মহাসড়কে বিভাজক বসানো ও সতর্কভাবে পথচারী পারাপার নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবচেয়ে বেশি জরুরি হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা। প্রতিবছর সড়কে এত প্রাণ ঝরছে, অথচ এটা বন্ধে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে কথা বলতে শোনা যায় না।
259,447
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ মে ২০১৬, ০২:৫০
২৬ মে ২০১৬, ০২:৫০
গৌরনদী,অপরাধ,বিশাল বাংলা,বরিশাল,বরিশাল বিভাগ
null
এ কেমন নিষ্ঠুরতা?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/868948
দাবি করা যৌতুকের টাকা না এনে দেওয়ায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলা এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম সেলিনা বেগম (২৫)। তিনি বরিশালের মুলাদী উপজেলার রামারপোল গ্রামের মৃত সেকেন্দার হাওলাদারের মেয়ে এবং গৌরনদী উপজেলার বোরাদী গরঙ্গল গ্রামের আনোয়ার খানের (৩০) স্ত্রী।নলচিড়া ইউপি সদস্য সহিদ খান বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় গত মঙ্গলবার রাতে তিনি সেলিনাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মীর মহিউদ্দিন বলেন, সেলিনার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। ফলে গতকাল তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।গৃহবধূর অভিযোগ, স্থানীয় লোকজন ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার খানের সঙ্গে সেলিনা বেগমের দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে আনোয়ারকে আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল দেওয়া হয়। কিন্তু বছর না পেরোতেই বিদেশে যাওয়ার জন্য বাবার বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা আনতে সেলিনাকে চাপ দেন আনোয়ার। সেই টাকাও এনে দেন তিনি। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার পর গত নভেম্বর মাসে সেলিনার শ্বশুর দুলাল খান আরও ৫০ হাজার টাকা আনতে চাপ দেন। রাজি না হওয়া সেলিনাকে বেদম পেটানো হয়। বিষয়টি ফোনে জানালে আনোয়ার গত জানুয়ারি মাসে দেশে ফেরেন। কিন্তু তিনি উল্টো সেলিনার ওপরই চড়াও হন।সেলিনা অভিযোগ করেন, তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আনোয়ার তাঁকে হুমকি দেন, ৫০ হাজার টাকা আনলে তিনি গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেবেন। রাজি না হওয়ায় স্বামী-শ্বশুর মিলে তাঁকে বিভিন্ন সময়ে লাঠিপেটা করেন।সেলিনার বড় বোন লিলি বেগম (৩০) অভিযোগ করেন, সর্বশেষ ১৭ মে স্বামী-শ্বশুর মিলে সেলিনাকে বেদম মারধর করেন। এতে সেলিনার গর্ভপাত ঘটে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাঁকে সাত দিন ঘরে আটকে রাখা হয়।
226,203
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ জুলাই ২০১৫, ০০:৫১
২৮ জুলাই ২০১৫, ০০:৫২
দাউদকান্দি,কুমিল্লা,বিশাল বাংলা
0
অবহিতকরণ সভা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/586426
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার জন্য গতকাল সোমবার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে মালিক, চালক ও মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক অবহিতকরণ সভা হয়েছে। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উদ্যোগে সভায় দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার সুলায়মান মিয়া, দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া ও দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়েদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়।
155,642
ময়মনসিংহ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ জুলাই ২০১৩, ০২:৩৬
১১ জুলাই ২০১৩, ০২:৩৭
ময়মনসিংহ,গফরগাঁও,বিশাল বাংলা,রাষ্ট্র ও রাজনীতি
0
যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/22428
যুবদলের ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল বুধবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংগঠনটির একাংশ। পরে মিছিল শেষে তারা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে সমাবেশ করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানায়। দলীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার সর্দার মো. খুররুমকে আহ্বায়ক করে যুবদলের উপজেলা শাখার ১৫ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা শাখা। নতুন কমিটি মেনে না নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গফরগাঁও পৌর শাখার সাবেক আহ্বায়ক ও যুবদলের জেলা শাখার সদস্য মিজানুর রহমান ও তাঁর সমর্থকেরা। গত মঙ্গলবার মিজানুরের সমর্থকেরা মো. খুররুমের বাসায় হামলা করে ভাঙচুরও চালান।
1,774
মামুন মুহাম্মদ, সাতকানিয়া
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০০:০৮
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০০:০৯
আমার চট্টগ্রাম
0
ভাঙনের মুখে তিন শতাধিক পরিবার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1000619
সাতকানিয়ার উত্তর তুলাতলী গ্রাম। চরতি ইউনিয়নের শঙ্খ নদের পাড়ের এই গ্রামের বাসিন্দাদের দিন কাটে এখন আতঙ্কে। এই বর্ষায় শঙ্খের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে ২৫টি বসতঘর, ভাঙনের মুখে আছে আরও ৫০টি।গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হাকিম বলেন, ‘ঘরের অর্ধেক বিলীন হয়েছে শঙ্খে। বাকিটা যেকোনো মুহূর্তে চলে যাবে। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারালে কোথায় যাব, কী করব কিছুই ভাবতে পারছি না। এখন বৃষ্টি হলেই আতঙ্কে থাকি। শুধু আমি না, গ্রামের সবাই ভয়ে ভয়ে দিন পার করছেন।’চরতির উত্তর তুলাতলী ছাড়াও ভাঙন আতঙ্ক ভর করেছে সাতকানিয়ার শঙ্খপাড়ের আরও ১৪ গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। প্রতি বছরই নদের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতঘর ও ফসলি জমি।১০ অক্টোবর সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের বিশ্বহাট, জেলেপাড়া, কালিয়াইশ ইউনিয়নের মাইঙ্গাপাড়া, কাটগড়, পূর্ব কাটগড়, নলুয়া ইউনিয়নের টেন্ডলপাড়া, আমিলাইশ ইউনিয়নের সরওয়ার বাজার, মধ্যম আমিলাইশ, পশ্চিম আমিলাইশ, চরতি ইউনিয়নের উত্তর তুলাতুলী, তুলাতুলী, মধ্যম চরতি, উত্তর ব্রাহ্মণডাঙ্গা, দক্ষিণ ব্রাহ্মণডাঙ্গা ও দ্বীপ চরতি এলাকার প্রায় আট কিলোমিটার নদের অংশে ভাঙন তীব্র। এসব এলাকায় বসতঘরের পাশাপাশি ভাঙনের মুখে রয়েছে পশ্চিম আমিলাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বীপ চরতির ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, বিভিন্ন বাজারের ১৫টি দোকান, ফসলি জমি ও বাগান। এদিকে চরতি ইউনিয়নের উত্তর ব্রাহ্মণডাঙ্গা-যতরমুখ সড়কটির অন্তত এক কিলোমিটার অংশ নদের বুকে হারিয়ে গেছে।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে নদের ভাঙন তীব্র হয়। তা ছাড়া সারা বছরই জোয়ার-ভাটা ও পানির স্রোতে শঙ্খের পাড় ভাঙছে। নদের ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।ধর্মপুর জেলেপাড়ার বাসিন্দা সুবল জলদাশ (৩৮) বলেন, ‘আমার চোখের সামনেই কতগুলো ঘর শঙ্খের বুকে বিলীন হয়ে গেছে। আরও ১৫টি ঘরসহ একটি মাজার বিলীন হওয়ার হুমকিতে আছে।’দ্বীপ চরতি এলাকার বাসিন্দা মো. রমিজ উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর আগে নিজের বসতঘরসহ ফসলি জমি শঙ্খের বুকে চলে গেছে। গত বছর দ্বীপ চরতি এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসা, অনেক বসতঘর ও ফসলি জমি নদের বুকে বিলীন হয়ে যায়। শঙ্খের ভাঙন রোধে একাধিকবার জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আশ্বাসের বাণী ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।মধ্যম আমিলাইশ গ্রামের কৃষক আহমদ হোসেন (৫৯) বলেন, ‘শঙ্খের ভাঙনে আমার পাঁচ কানি ফসলি জমি হারিয়েছি। এখন বসতঘর ও ভিটা ভাঙনের হুমকিতে। বৃষ্টি ও জোয়ার-ভাটার সময় ভয়ে থাকি। ওই সময় শঙ্খের ভাঙন তীব্র হয়।’চরতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, শঙ্খের ভাঙনে এ বছর চরতি ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের অন্তত ৫০টি বসতঘর ও প্রায় দেড় শ একর ফসলি জমি নদের গর্ভে হারিয়ে গেছে। হুমকিতে আছে আরও ১২০টি পরিবার। লোকজন প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পটিয়া কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শঙ্খ নদের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শঙ্খ ও ঢলু নদের প্রায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার এলাকার অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরসিসি ব্লক বসানোর একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করতে পারব।’সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, ‘সাতকানিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন শঙ্খের ভাঙনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে শঙ্খপাড়ের বাসিন্দাদের স্বপ্নপূরণ হবে।’
256,499
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৭ জুলাই ২০১৪, ২০:০৩
১৭ জুলাই ২০১৪, ২০:০৪
গবেষণা
null
ইন্টারনেটের সবকিছুই যাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে!
http://www.prothom-alo.com/technology/article/270241
আগামী এক দশকের মধ্যেই ইন্টারনেট জগতের সবকিছুই সরকারের অধীনে যাবে। ২০২৫ সাল নাগাদ আমরা অনলাইনে যা পড়ি, যা দেখি, যা কেনাকাটা করি, সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার।সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা নেট থ্রেট বা ইন্টারনেটের হুমকি বিষয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষকেরা তাঁদের গবেষণার জন্য এক হাজার ৪০০ বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক, অধ্যাপকের মতামত নেন। ‘নেট থ্রেটস’ নামের প্রতিবেদনে এক দশকের মধ্যে ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে সরকারি নিয়ন্ত্রণকেই চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। ‘ডেইলি মেইল’-এর এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার, বড় বড় করপোরেট ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট জগেক প্রভাবিত করবে এবং নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের কারণে ইন্টারনেটে আরও বেশি ব্লকিং, ফিল্টারিংয়ের মতো ঘটনা ঘটবে। আমরা অনলাইনে যা-ই করি না কেন, তার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে সরকারের হাতে। মুক্ত ইন্টারনেটের বদলে বাণিজ্যিক চাপ তৈরি হবে এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
78,286
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জুলাই ২০১৫, ১৬:১০
০৮ জুলাই ২০১৫, ১৬:১৩
আইন ও বিচার
null
পাড়ানো ময়দায় সেমাই, কারখানা সিলগালা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/572878
নোংরা পা দিয়ে পাড়িয়ে পাড়িয়ে মাখানো হয় ময়দা। যে শ্রমিকেরা এই ‘পদ দলনের’ কাজ করেন তাঁদের গা থেকে ময়দার ওপর দর দর করে ঝরতে থাকে ঘাম। সেই ময়দায় বানানো লাচ্ছা সেমাই ঢুকে পড়ে ‘১০০% বিশুদ্ধ’ লেখা বাহারি মোড়কে।রাজধানীর লালবাগের এমনই একটি প্রতিষ্ঠান সজল আহমেদ সেমাই কারখানা। এভাবে লাচ্ছা সেমাই বানানোর সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই কারখানায় অভিযান চালায় র‍্যাব ও বিএসটিআই। হাতেনাতে ধরা পড়েন এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। পরে তাঁদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং কারখানাটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।লালবাগের শহীদনগরের বেড়িবাঁধের পাশে চার নম্বর গলিতে দোতলা টিনের ঘরের মধ্যে সেমাই কারখানাটি ছিল।অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র‍্যাব-২ এর উপপরিচালক দিদারুল আলম বলেন, ‘অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের এমন কিছু অবশিষ্ট নেই যে এই কারখানায় ছিল না। ভেতরে এত দুর্গন্ধ যে, নাকে কাপড় চেপে আমাদের অভিযান চালাতে হয়েছিল।’ তিনি বলেন, নোংরা গন্ধ, ভেজাল তেল আর ডালডা ব্যবহার করা হতো কারখানাটির সেমাইয়ে। কাদা আর স্যাঁতসেঁতে মেঝের ওপর পা দিয়ে ময়দা মাখানো হতো।র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রোজার সময় প্রতিদিন এই কারখানায় ২০-২৫ মণ সেমাই বিক্রি করা হতো। প্রতিমণ সেমাইয়ের পাইকারি মূল্য ছিল তিন হাজার টাকা। এর পর এসব সেমাইয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোড়ক ভরে বিক্রি করা হতো। জরিমানার করে কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
151,082
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুন ২০১৬, ০১:০০
২২ জুন ২০১৬, ০১:০১
বিশাল বাংলা,অপরাধ,পঞ্চগড়,রংপুর বিভাগ
0
প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে অশোভন আচরণসহ অনিয়মের অভিযোগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/895342
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।ওই কর্মকর্তার নাম আবু সাঈদ মো. রমজান আলী। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লার কাছে একই অভিযোগ করা হয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ পাঠান।শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, প্রশিক্ষক আবু সাঈদ মো. রমজান আলী দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় এত দিন তাঁর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেননি। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে অবিলম্বে তাঁকে বদলি করা দরকার।অভিযোগকারী কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ওই কর্মকর্তা নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী একই প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষককে বারবার প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেন। বিভিন্ন অজুহাতে তিনি শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সাঈদ মো. রমজান আলী এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। তবে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি অন্যত্র বদলি হওয়ার চেষ্টা করছি।’
234,689
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৩৪
১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৩৫
টেকনাফ,কক্সবাজার,অপরাধ
0
ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1039537
কক্সবাজারের উখিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।নিহত সুরত আলম (৩০) ঘোনারপাড়ার জালাল আহমদের ছেলে। ঘটনার পর পুলিশ সুরতের ছোট ভাই আনোয়ার সাদেককে (২০) গ্রেপ্তার করেছে।আজ রাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, সকালে বাড়ির ভিটার গাছের ফল নেওয়ার জের ধরে ওই দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আনোয়ার সাদেক তাঁর বড় ভাই সুরত আলমের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুরত মারা যান। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ গিয়ে আনোয়ার সাদেককে গ্রেপ্তার করে এবং সুরতের লাশ ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
273,833
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ অক্টোবর ২০১৪, ১৩:৫৫
১১ অক্টোবর ২০১৪, ১৮:৪৯
রাজনীতি
null
দেশ ও দলের অভিশাপ হাসিনা: রিজভী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/340570
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশ নয়, আওয়ামী লীগের মতো একটি পুরোনো দলের জন্যও অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছেন। তাঁর কারণেই সারা দেশে গুম-খুন-হানাহানি-রক্তপাত লেগে আছে।আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন রিজভী।শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ মুহূর্তে তাঁর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং দেশে স্বস্তি ও শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’রিজভী অভিযোগ করেন, নব্বইয়ের আন্দোলনে নিহত নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর গ্রামের বাড়িতে মিলাদ মাহফিলে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘হিংস্র আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারই শুধু কেড়ে নেয়নি, এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও বেপরোয়াভাবে হামলা চালাচ্ছে।’ চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদল নেতা আদিল মাহমুদ হত্যার নিন্দা জানিয়ে রিজভী দাবি করেন, প্রতিদিন গড়ে ২০ জন মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছেন। এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ড সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত হচ্ছে।
99,542
রাহিতুল ইসলাম
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৭ জুলাই ২০১৩, ০০:০০
০৬ জুলাই ২০১৩, ২৩:৪৮
খবরাখবর,বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
0
প্রযুক্তিপণ্যের দাম কমছে
http://www.prothom-alo.com/technology/article/20034
ঢাকার প্রযুক্তি বাজারে প্রসেসর, মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ইত্যাদির দাম কমেছে। বিক্রেতারা জানান, কেনাবেচা এবং ক্রেতাদের উপস্থিতি খুব ভালো হলেও বিকিকিনি তেমন হচ্ছে না। গতকাল শনিবার পাওয়া বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম নিচে দেওয়া হলো।প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই-৩ ৩.৩০ গিগাহার্টজ (গি.হা.) ৯,৬০০ টাকা; সেলেরন ১.৮ গি.হা. ২,০০০; কোর আই-৫ ৩.২ গি.হা. ১৬,২০০ ও কোর আই-৭ ৩.৪০ গি.হা. ২৬,৫০০ টাকা। পেন্টিয়াম ডুয়াল কোর ২.৮ গি.হা. ৫,২০০ টাকা। মাদারবোর্ড: গিগাবাইট জিএ৪১এমটি-এসটুপি ডিডিআরথ্রি ৫,২০০ টাকা; জি৪১এম কমবো ৫,১০০; এইচ৬১এম ৪,৮০০ ও জিএ-এইচ৭৭ কমবো ১০,৪০০ টাকা। ইন্টেল ডিজি৪১আরকিউ ৪৫০০ ও ডিজি৪১ডব্লিউভি ৫০০০ টাকা। ফক্সকন এইচ৬১ এমএক্সই-কে ৩,৭০০ ও জি-৬১এমএক্সই ৪,৮০০ টাকা। র‌্যাম: ডিডিআর-৩ অ্যাপাসার ২ গিগাবাইট (গি.বা.) ১,৫৫০ টাকা। এডেটা ৪ গি.বা. ২,৪০০ টাকা। ট্রানসেন্ড ২ গি.বা. ১,৬৫০ টাকা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ৫০০ গি.বা. ৪,৬০০ টাকা। হিটাচি ৫০০ গি.বা. ৪,৫০০ ও ১ টেরাবাইট ৬,০০০ টাকা। স্যামসাং ৩২০ গি.বা. ৩,৭০০ টাকা। এলসিডি মনিটর: স্যামসাং ১র্৭র্ স্কয়ার ৯,৬০০ ও ১র্৮র্ ওয়াইড ৮,১০০ টাকা। ফিলিপস ১৮.র্৫র্ ৮,০৫০ টাকা। ডেল ১র্৭র্ ৮,৫০০ টাকা। এলজি ১র্৬র্ ৬,৫০০ ও ২র্০র্ ১০,০০০ টাকা। আসুস ১৮.র্৫র্ ৮,৩০০ টাকা; ২১.র্৫র্ ১৪,০০০ টাকা। এলইডি মনিটর: স্যামসাং ১৮.র্৫র্ ৭,৮০০ ও ২র্৭র্ থ্রিডি ৬২,৫০০ টাকা। গ্রাফিকস কার্ড: গিগাবাইট এইচডি-৬৪৫০ ১ গি.বা. ৪,০০০ টাকা। গিগাবাইট ৫৪৫০ ১ গি.বা. ৩,৪০০ টাকা। আসুস ইএন২১০ ১ গি.বা. ৩,২০০ টাকা। ডিভিডি রাইটার/রি-রাইটার: স্যামসাং ১৬এক্স ১,৭০০ টাকা। আসুস ১৬এক্স ১,৩৫০ টাকা; ২০ এক্স ১,৮০০ টাকা। কেসিং: স্পেস ২,২০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা। ডিলাক্স ২,১০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা। গিগাবাইট ২,১০০ টাকা ও মারকারি ১,৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। মাউস: এফোরটেক ৩০০ থেকে ২,২০০ টাকা। লজিটেক ৪৫০ থেকে ২,৫০০ টাকা। কি-বোর্ড: ২০০ থেকে ২,৮০০ টাকা ও মাল্টিমিডিয়া ৭৫০ টাকা। স্পিকার: মাইক্রোল্যাব (২:১) ১,৫০০ থেকে ২,৬০০ টাকা। ক্রিয়েটিভ এসবিএস (২:১) ৯০০ থেকে ২,১০০ এবং অ্যালটেক ল্যানসিং ১,৪০০ থেকে ৬,০০০ টাকা। পেনড্রাইভ: ট্রানসেন্ড ৪ গি.বা. ৪৫০ টাকা; ৮ গি.বা. ৫৫০ ও ১৬ গি.বা. ১০০০ টাকা। অ্যাপাসার ৪ গি.বা. ৪৮০ ও ৮ গি.বা. ৫০০ টাকা। এডেটা ৪ গি.বা. ৪৫০ ও ১৬ গি.বা. ৯০০ টাকা। ভেরিকো ৪ গি.বা. ৫০০ ও ৮ গি.বা. ৭০০ টাকা। মডেম: মোবিডেটা এজ ১০০ইইউ ২,৬০০ টাকা। সনি এরিকসন জিসি৮৯ ৪,২০০ টাকা। টেকনো টিএম০০৮ ২২০০ টাকা। টিভি কার্ড: এভারমিডিয়া ইন্টারনাল ৩,১০০ টাকা ও এক্সটারনাল ডব্লিউ৭ ৪,৬০০ টাকা। রিয়েলভিউ ১,৬৫০ টাকা। গেডমেই ১,৫০০ টাকা। প্রিন্টার: ক্যানন আইপি-২৭৭২পিক্সমা ৩,০০০ টাকা; এমপি-২৮৭ ৬,২০০ ও এলবিপি-৩৩০০ ১১,৪০০ টাকা। এইচপি ডি-১০০০ ২,৬০০ ও লেজার পি-১১০২ ৮,১০০ টাকা। এপসন এম-১২০০ ৭,২০০ টাকা। ব্রাদার এইচএল ৫৩৪০ডি ১৬,৭০০ টাকা। স্যামসাং এমএল ১৮৬৬ (লেজার) ৬,৬০০ টাকা। বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক: ট্রানসেন্ড ৫০০ গি.বা. ৫,৩০০ টাকা; ৭৫০ গি.বা. ৬,২০০ ও ১ টেরাবাইট ৭,৪০০ টাকা। ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ৫০০ গি.বা. ৫,৫০০ ও ১ টেরাবাইট ৭৪০০ টাকা। ইউপিএস: পাওয়ার টেক ৬৫০ভিএ ২৮০০ টাকা; অ্যাপোলো ৬৫০ভিএ ২৮৫০ ও ১২০০ভিএ ৫,০০০ টাকা। ডিজিটাল এক্স ৬৫০ভিএ ২,৯০০ টাকা; প্রোলিংক ৬৫০ভিএ ২৮০০ ও প্রোলিংক ৬৫০ভিএ ২৮০০ টাকা। —সংগ্রহ: রাহিতুল ইসলামএখানে শুধু যন্ত্রাংশের দাম দেওয়া হয়েছে। পুরো কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে সংযোজন খরচ ও সার্ভিস চার্জ যুক্ত হবে।
944
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ মে ২০১৬, ০১:১১
২৮ মে ২০১৬, ০১:১২
সিলেট,সিলেট বিভাগ,মহানগর
0
সিলেটে আজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/870628
উদীচী: উদীচী সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত ম. শমসের হোসেইনের স্মরণসভা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, সিলেটের সারদা হলের সম্মিলিত নাট্য পরিষদের মহড়াকক্ষে।
226,899
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ মে ২০১৮, ১৬:২২
৩০ মে ২০১৮, ১৩:১৯
সরকার,ওবায়দুল কাদের,রাজনীতি,বেহাল মহাসড়ক
null
সড়কের কাজের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে: কাদের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1498621
ঈদ সামনে রেখে সারা দেশের সড়ক, মহাসড়কে উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করার জন্য চলছে তোড় জোর। এরই মধ্যে মহাসড়ক নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছিলেন। সেই পোস্টের ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবারও মহাসড়ক নিয়ে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, সারা দেশের সড়ক মহাসড়কের জরুরি মেরামতকাজ ৮ জুনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহাসড়কগুলোতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অধিকতর ভালো। তিনি বলেন, ‘তবে মন্ত্রী হিসেবে বলব, দেশের সর্বত্র যে চিত্র তাতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। সড়ক সংস্কারের চাহিদার বিপরীতে যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তা দিয়ে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার জাতীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা সড়কের মেরামত ও সংস্কার কাজ করতে হয়। এতে কিছু কিছু সড়ক কাভারেজের বাইরে থেকে যায়। এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই যে, দেশের সড়ক নির্মাণ এবং সংস্কার কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে জনমনে। এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে মান উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের লিখেছেন, জনগণের নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে ঘরেফেরা নিশ্চিত করতে অন্যান্য বছরের মতো এবারও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সজাগ। এ বছর রমজানের আগেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। সকল স্টেক-হোল্ডারদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এবার সমন্বয় সভাগুলো মাঠ পর্যায়ে করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভূলতা, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর এবং ফেনীতে চারটি সমন্বয় সভা হয়েছে। এ সকল সভায় জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, থানা-পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ ছিল।বড় দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার রাখার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যানজট ও দুর্ভোগ এড়াতে সেতুগুলোর টোল আদায়কারী সকল বুথ চব্বিশ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। দ্রুত টোল আদায় করতে যানবাহনের মালিক ও চালকদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টোলের অর্থ হাতে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ফেরিঘাটে গাড়ি পারাপারে অতিরিক্ত ফেরি মজুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দ্রুত সরিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু সেতু, মেঘনা সেতু ও গোমতী সেতুসহ দুর্ঘটনা প্রবণ স্থানে রেকার ও ক্রেন রাখার জন্য বলা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত বড় ধরনের দুর্ঘটনা পরবর্তী দ্রুত উদ্ধারকাজ পরিচালনায় হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলছেন, আসন্ন ঈদের আগের চার দিন এবং পরের চার দিন চব্বিশ ঘণ্টা সারা দেশের সিএনজি স্টেশনগুলো খোলা থাকবে। ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, কাঁচা চামড়া এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।যানজট কমানোর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের সময় যানজট এবং অতিরিক্ত চাপ এড়াতে এলাকাভিত্তিক গার্মেন্টসগুলো ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়া এবং খোলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বাস টার্মিনাল এবং মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে এবং সড়কপথে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমার, মলমপার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ সজাগ থাকবে। মহাসড়কে যানবাহনের গতি অব্যাহত রাখতে ঈদের আগের সাত দিন এবং পরের সাত দিন সুনির্দিষ্ট পূর্ব তথ্য ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সড়কের ওপর মোটরযান থামাতে পারবে না। কোনোভাবেই ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলতে দেওয়া যাবে না। ঢাকা মহানগরীতে যত্রতত্র পার্কিং বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হবে। সড়ক, মহাসড়কের যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো যাবে না।ওবায়দুল কাদের বলছেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং নন-মোটরাইজড্ যানবাহন চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি আরোহী থাকবে না। প্রত্যেক আরোহীকে হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ঘাটে (সেতু সংলগ্ন) বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। চলছে জরুরি ভিত্তিতে ঘাট মেরামতের কাজ। আশা করা যায় এ ঘাট ঈদের এক সপ্তাহ আগেই প্রস্তুত হয়ে যাবে।এরপর সারা দেশে সড়ক, মহাসড়কে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বিষয়ে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি কোথায় কত কিলোমিটার সড়কের কাজ হচ্ছে, কতটি কালভার্ট, সেতু, ওভারপাস, আন্ডারপাস, পদচারী সেতু, বাস থামানোর জায়গা, বাইপাস এবং সড়ক প্রশস্ত করার কাজ চলছে—সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
365,439
-1
education
শিক্ষা
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:০৯
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:১২
পড়াশোনা
0
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর প্রস্তুতি
http://www.prothom-alo.com/education/article/140677
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ১ম অধ্যায় থেকে যোগ্যতাভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করছি। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১।# সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো।১৩. ছয় দফা আন্দোলন কত সালে হয়?ক. ১৯৫৬ সালে খ. ১৯৫৪ সালেগ. ১৯৬৮ সালে ঘ. ১৯৬৬ সালেউত্তর: ঘ. ১৯৬৬ সালে১৪. কত সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে?ক. ১৯৭৪ সালের খ. ১৯৭০ সালেরগ. ১৯৬৮ সালের ঘ. ১৯৬৯ সালেরউত্তর: খ. ১৯৭০ সালের১৫. ১৯৬৯ সালটি ইতিহাসে স্মরণীয় কেন?ক. ভাষা আন্দোলনের জন্যখ. পলাশী যুদ্ধ ও ইংরেজ শাসনের জন্যগ. গণ-অভ্যুত্থানের জন্য ঘ. ছয় দফা আন্দোলনের জন্যউত্তর: গ. গণ-অভ্যুত্থানের জন্য১৬. বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের কত তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন?ক. ২৬ মার্চ খ. ২৫ মার্চগ. ৭ মার্চ ঘ. ওপরের কোনোটিই নয়উত্তর: ক. ২৬ মার্চ১৯. মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হয়ে কাজ করে, এমন বাহিনীর নাম কোনটি নয়?ক. শান্তি কমিটি খ. আলবদরগ. মুক্তি বাহিনী ঘ. আলশামসউত্তর: গ. মুক্তি বাহিনী১৭. মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের কত তারিখে শপথ গ্রহণ করে?ক. ১৭ মার্চ খ. ১৭ মে গ. ১৭ এপ্রিল ঘ. ১৭ জুনউত্তর: গ. ১৭ এপ্রিল১৮. তাজউদ্দীন আহমদ মুজিবনগর সরকারের কোন পদে ছিলেন?ক. রাষ্ট্রপতি খ. প্রধানমন্ত্রী গ. উপরাষ্ট্রপতি ঘ. অর্থমন্ত্রীউত্তর: খ. প্রধানমন্ত্রী২০. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে কয় সেক্টরে ভাগ করা হয়?ক. ৮ সেক্টরে খ. ১০ সেক্টরেগ. ১১ সেক্টরে ঘ. ১৪ সেক্টরেউত্তর: গ. ১১ সেক্টরে২১. অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল চট্টগ্রাম চালনা কোন সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?ক. ৮ নম্বর সেক্টরে খ. ৯ নম্বর সেক্টরেগ. ১০ নম্বর সেক্টরে ঘ. ১১ নম্বর সেক্টরেউত্তর: গ. ১০ নম্বর সেক্টরে২২. ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের কোন সময় পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে?ক. সকালে খ. সন্ধ্যায় গ. বিকেলে ঘ. রাতেউত্তর: গ. বিকেলে২৩. শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কত তারিখে?ক. ১৪ ডিসেম্বর খ. ১০ ডিসেম্বরগ. ১৮ জুলাই ঘ. ১৪ সেপ্টেম্বরউত্তর: ক. ১৪ ডিসেম্বর২৪. মুজিবনগর সরকার শপথ নিয়েছিল কবে?ক. ২৫ এপ্রিল, ১৯৭১ খ. ১০ এপ্রিল, ১৯৭১গ. ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ ঘ. ২০ এপ্রিল, ১৯৭২উত্তর: গ. ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১২৫. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানখ. সৈয়দ নজরুল ইসলামগ. তাজউদ্দীন আহমদ ঘ. মওলানা ভাসানীউত্তর: ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান২৬. জেড ব্রিগেড ফোর্সের অধিনায়ক কে ছিলেন?ক. মেজর কে এম সফিউল্লাহ খ. মেজর জিয়াউর রহমানগ. মেজর খালেদ মোশাররফ ঘ. কর্নেল ওসমানীউত্তর: খ. মেজর জিয়াউর রহমান।মো. সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষকপ্রগতি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
49,287
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ অক্টোবর ২০১৩, ১৪:৫২
০৬ অক্টোবর ২০১৩, ১৫:০৭
অপরাধ
null
ইরানে বাংলাদেশি অপহরণ, দেশে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/53440
ইরানে এক বাংলাদেশি শ্রমিককে আটকে রেখে দেশে বসে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)।সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফরিদ আহমেদ, শাহজাহান ও বিলকিস আক্তার।সিআইডির পুলিশ সুপার (সংঘবদ্ধ অপরাধ) আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি দুবাইতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মানিক নামের একজন তাঁকে আরও বেশি অর্থের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তুরস্কে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে রফিকুল রাজি হন। পরে মানিক রফিকুলকে তুরস্কে না নিয়ে ইরানের অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখেন এবং রফিকুলের পরিবারকে ফোন করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এই মুক্তিপণের টাকা মানিকের স্ত্রী বিলকিসসহ কয়েকজনের কাছে চাঁদপুরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে রফিকুলের পরিবারকে নির্দেশ দেন মানিক। এ নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে দেড় লাখ টাকা পাঠায় রফিকুলের পরিবার। পরে তারা কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা করেন ও সিআইডিকে অবহিত করেন। এ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে ওই তিনজনকে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে গতকাল গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।সিআইডি কর্মকর্তা আশরাফুল বলেন, এখনো পর্যন্ত রফিকুলকে উদ্ধার করা যায়নি। তাঁকে উদ্ধারের জন্য ইরানের পুলিশ, ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস, ইরান দূতাবাস ও ইন্টারপোল একসঙ্গে কাজ করছে।
22,030
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মার্চ ২০১৭, ১৭:৪০
০৬ মার্চ ২০১৭, ১৭:৪২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ,অপরাধ
0
বড় ভাইয়ের হাতে ছোট বোন নিহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1099309
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছোট বোন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ঝাইড়া মণ্ডলের টোলা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।নিহত দুলালী (২০) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। এ ঘটনায় পুলিশ দুলালীর বড় ভাই সাহেবকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে। সাহেবও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানান তাঁদের বাবা জিল্লার রহমান।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাযহারুল ইসলাম জানান, গতকাল সন্ধ্যায় পর এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। অন্য সদস্যরা এ সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন। পুলিশ খবর পেয়ে রাত আটটায় লাশ উদ্ধার করে। নিহত দুলালীর ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। প্রাথমিকভাবে সাহেবকে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, আজ সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় দুলালীর বাবা জিল্লার রহমান বাদী হয়ে সাহেবকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।এজাহারে উল্লেখ করেন, তাঁর ছেলে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন।
299,830
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
০৯ জুন ২০১৬, ১০:০০
০৯ জুন ২০১৬, ১০:১৪
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
রোনালদো-ইব্রার সঙ্গে গেইলের মিল!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/881965
ক্রিস গেইল, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ—ক্রিকেট ও ফুটবলের এই তিন তারকার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিল কোথায় বলুন তো? আত্মবিশ্বাস। এই তিন তারকারই নিজেদের সামর্থ্যের ওপর অগাধ বিশ্বাস। সমালোচকেরা কী বলল না বলল, তাতে তাঁদের কিছুই আসে–যায় না। গেইলের চোখে এ গুণটিই তাঁদের তিনজনকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়।আত্মজীবনী ‘সিক্স মেশিন’-এ গেইল লিখেছেন, ‘কঠোর পরিশ্রম ও আত্মনিবেদন থেকেই আত্মবিশ্বাস আসে। ইব্রাহিমোভিচকে দেখুন কিংবা রোনালদোকে। রোনালদো বিশ্বাস করে, সে-ই সেরা। এমনকি তখনো, যখন লোকে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বা বড় পুরস্কারের জন্য লিও মেসিকেই যোগ্য মনে করে। এসবও তাকে আটকাতে পারে না। সে নিজে জানে সে সেরা এবং এভাবেই নিজেকে অনুপ্রেরণা দেয়। অন্যরা কী বলল, তাতে ওর কিছু যায়–আসে না। তার সঙ্গে আমার এদিকে মিল আছে।’ক্রিকেটের অবিশ্বাস্য কিছু রেকর্ড গেইলের দখলে। টেস্টে দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি, প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি, টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান, সবচেয়ে বেশি ছক্কা। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি, ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। গেইল মানেই যেন রেকর্ড আর রেকর্ড। তবে গেইলের ধারণা, রোনালদো কিংবা ইব্রাহিমোভিচও এসব রেকর্ড গড়তে পারতেন, ‘ইব্রাহিমোভিচ যদি ক্রিকেটার হতো, এমন কিছুই করত। এসব কীর্তির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, বাড়তি চেষ্টাতেই তা হয় না, এগুলো স্বাভাবিকভাবেই আসে। আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না। অন্যদের জন্য হয়তো এতে কাজ হয়, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে কখনো তা হয়নি।’ সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া।
230,449
-1
entertainment
বিনোদন
২৮ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০২
২৮ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০৩
বিনোদন
0
আজ উৎসবের শেষ দিনের শিল্পীরা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1029207
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা (কণ্ঠ), বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা (সেতার), পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা (সন্তুর), কুমার মারদুর (খেয়াল), পণ্ডিত কুশল দাস (সেতার), আরতি অঙ্কালিকার (খেয়াল), পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া (বাঁশি)।
269,507
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:৩৪
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:৩৬
খেলা
0
পোশাক নিয়ে হ–য–ব–র–ল
http://www.prothom-alo.com/sports/article/758734
বিদেশে খেলতে যাওয়ার আগে সেখানে ফলাফল কেমন হবে, সেই আলোচনাই হয় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এবারের এসএ গেমসটা যেন ব্যতিক্রম। বাংলাদেশের প্রথম দলটি আজ গেমসের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে পদক জয় নিয়ে তেমন কথাবার্তা নেই। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) দেওয়া খেলোয়াড়দের পোশাকই বরং এখন আলোচনার কেন্দ্রে! শাড়ি, ব্লেজার, ট্র্যাকসুট, কেডস, জুতা—কোনোটিই ঠিকঠাক হয়নি বলেছেন একাধিক খেলোয়াড় ও সংগঠক। এগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বিশেষ করে শাড়ি নিয়ে জোর আপত্তি মেয়েদের। ওটা পাতলা এবং একবার ধোয়ার পর নাকি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে! এমন শাড়ি পরে কীভাবে মার্চপাস্টে অংশ নেবেন তা নিয়ে অনেক নারী খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাকে হাসাহাসিও করতে দেখা গেছে কাল। ব্লেজার কোনোটি আঁটসাঁট, কোনোটি গায়েই ঢোকে না। এদিক টানলে ওদিক নেই। কোথাও কোথাও সেলাইও গেছে খুলে। ট্র্যাকসুটেরও একই অবস্থা। কেডস বেশির ভাগই বিশাল। যার প্রয়োজন ৪১ নম্বর, তাকে দেওয়া হয়েছে ৪৪! গত এসএ গেমসে সোনাজয়ী উশু খেলোয়াড় ইতি ইসলামও এর ভুক্তভোগী, ‘আমার পায়ের চেয়ে কয়েক ইঞ্চি বড় এই কেডস আমার কাজেই আসবে না। ওটায় পা ঢোকালে খালি অংশটা কী দিয়ে ভরাব! তাই ওটা গেমসে নিয়ে লাভ নেই।’ কেডস তবু বদলে নেওয়ার সুযোগ আছে এবং অনেকে নাকি বদলেও নিয়েছেন। কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে গেমসগামী এক নারী কর্মকর্তা বললেন, ‘শু কোথা থেকে বানিয়েছে জানি না। ঠিকানা জানলে বদলে আনার চেষ্টা করতাম।’বাংলাদেশ দলের ডেপুটি শেফ দ্য মিশন কামরুন নাহার ডানা এসব নিয়ে কিছু বলতে রাজি হলেন না। যদিও শাড়ির ব্যাপারটা তাঁর জানার কথা। কিন্তু জানেন না, ‘এই জিনিসগুলো কেনাকাটার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না। শাড়ির ব্যাপারে আমার কোনো মতামতও নেওয়া হয়নি।’ শেফ দ্য মিশন ও বিওএর উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকুও বলছেন তিনি এসবে যুক্ত নন। তবে পোশাকের মান ভালো বলে দাবি করলেও শাড়ির ব্যাপারে দিলেন ভিন্নমতই, ‘রাজশাহী সিল্কের শাড়ি দেওয়া হয়েছে তাই পাতলা। তবে গেমসে শীতের কথা চিন্তা করলে টাঙ্গাইল বা অন্য শাড়ি দিলে ভালো হতো।’ জুতা-কেডস বড়-ছোট হলে সেগুলো বদলে নেওয়ার কথাও জানালেন এই কর্মকর্তা। বিওএর কোষাধ্যক্ষ রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল যুক্ত ছিলেন পোশাকসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে। সব ঠিকঠাকই করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। সব ঠিকঠাক হলে তো ভালোই। কিন্তু খেলোয়াড়েরা বলছেন ভিন্ন কথা। শিলংয়ের ঠান্ডা নিয়ে এমনিতেই ভয় আছে বাংলাদেশের, তার ওপর পোশাক নিয়ে অসন্তোষ সঙ্গী করেই বিওএর ভাড়া করা গুয়াহাটিগামী বিশেষ চার্টার্ড বিমানে আজ সকালে চেপে বসবে নয়টি খেলায় ১৬০ সদস্যের প্রথম দলটি। আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, সাইক্লিং, সাঁতার, টিটি, ভলিবল, উশু, মহিলা ফুটবল যাচ্ছে সবার আগে। আগামীকাল যাবে টেনিস, অ্যাথলেটিকস, ভারোত্তোলন, কুস্তি, খো খো, হকি ও পুরুষ ফুটবল। ৮ ফেব্রুয়ারি সবার শেষে যাবে বাস্কেটবল, বক্সিং, হ্যান্ডবল, জুডো, কারাতে, শুটিং ও তায়কোয়ান্দো।
198,198
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ আগস্ট ২০১৪, ০০:০১
২১ আগস্ট ২০১৪, ০০:০১
আমার চট্টগ্রাম
0
মর্টার শেলটি নিয়ে বিপাকে পুলিশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/296200
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পানিছড়া পাহাড় থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটি নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দল নিষ্ক্রিয় করতে না আসায় শেলটি পুলিশকে পাহারা দিতে হচ্ছে। এটি বর্তমানে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি খোলা মাঠে রাখা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৬ আগস্ট সকালে মর্টার শেলটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর পুলিশ স্থানীয় চার ব্যক্তিকে আটক করে শুরু করেন জিজ্ঞাসাবাদ। পরদিন ১৭ আগস্ট সকালে পুলিশ ওই পাহাড়ের নিচে একটি পানের বরজ থেকে মর্টার শেলটি পুনরায় উদ্ধার করে।৮ আগস্ট বিকেলে বাহারছড়া ইউনিয়নের পানিছড়া পাহাড় থেকে বনকর্মীরা (মাটির নিচ থেকে) মর্টার শেলটি উদ্ধার করেন। এরপর পাহাড়ের নিচে সমতল জায়গায় রেখে শেলটি পুলিশ পাহারা দিচ্ছিল।টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১৬ আগস্ট ভোররাতে পুলিশ হেফাজত থেকে মর্টার শেলটি গায়েব হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে মর্টার শেলটির সন্ধান পায়নি।পরে মর্টার শেলটি চুরির অভিযোগে বাহারছড়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ ইসহাক এবং স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসাইন, মো. করিম ও মোহাম্মদুল হককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ১৭ আগস্ট সকাল সাতটার দিকে পুলিশ পানিরছড়া পাহাড়ের নিচের একটি প=ানের বরজ থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়। শেলটি এখন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, শেলটি উদ্ধারের পর সেটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দল না আসা পর্যন্ত মর্টার শেলটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকবে।
86,923
-1
economy
অর্থনীতি
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০৪
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০৯
খবর
0
জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সমঝোতা স্মারক
http://www.prothom-alo.com/economy/article/439588
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ জাপানের এআইকে গ্রুপ ফর বেটার এডুকেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সেনমন কিও ইকো পাবলিশিং কোম্পানির সঙ্গে জাপানি ভাষার ‘নেট টেস্ট সেন্টার’ স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। ইউনিভার্সিটির পক্ষে অধ্যাপক মো. গোলাম সামদানী ফকির ও সেনমন কিও ইকো পাবলিশিং কোম্পানির পক্ষে প্রেসিডেন্ট কামাতা আটসুশী এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার মো. শহীদ উল্লাহ এবং রেজিস্ট্রার লে. কর্নেল (অব.) মো. আলী আম্বিয়াল হক খান এবং ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপারসন ইসলাম মো. হাসানাত এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।
111,798
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ নভেম্বর ২০১৩, ১১:৫৭
২০ নভেম্বর ২০১৩, ১২:৫৭
অপরাধ
null
প্রায় নয় কেজি স্বর্ণসহ একজন আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/78130
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় নয় কেজি স্বর্ণসহ জামাল উদ্দিন নামে এক যাত্রীকে আজ বুধবার সকালে আটক করা হয়েছে।বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. মশিউর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় যাত্রী জামাল উদ্দিনের ব্যাগ তল্লাশি করে ৭৫টি সোনার বার আটক করা হয়, যার ওজন আট কেজি ৭৫ গ্রাম। আটক স্বর্ণের দাম পৌনে চার কোটি টাকা। মো. মশিউর রহমান আরও জানান, আটক যাত্রী জামাল উদ্দিনের ঢাকায় নামার কথা ছিল। তাঁর বাড়ি ফেনীতে।আটক যাত্রী জামাল উদ্দিন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের জানান, দুবাইয়ের সুমন নামের এক ব্যক্তি সোনার বারসহ ব্যাগটি ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁকে দায়িত্ব দেয়। বিমানভাড়াসহ সব খরচও বহন করেন সুমন।এ বছর শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রায় ১৯ কোটি টাকার নয়টি সোনার চালান জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা হলেও সোনার বার পাচারের মূল উত্স এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। শুধু সোনার বার পাচারের বাহকদের আটক করা হয়েছে।
29,254
বাসস
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ আগস্ট ২০১৬, ০২:২৪
১২ আগস্ট ২০১৬, ০২:২৫
-1
0
সৌদিতে জনশক্তি পাঠানোর পথ খুলল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/943789
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকসহ সব ধরনের কর্মী নিয়োগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। সাত বছর পর সৌদি আরবের শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় গত বুধবার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে রিক্রুটমেন্টের চ্যানেলটি উন্মুক্ত হওয়া আমাদের জন্য একটি বড় খবর।’ তিনি বলেন, গত বছরে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার ফলে বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে গৃহপরিচারিকা পাঠানো হয়।বাংলাদেশের দূত রিয়াদ থেকে টেলিফোনে বাসসকে বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানির একটি বিশাল বাজার উন্মুক্ত হবে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ, অদক্ষ শ্রমিক, নির্মাণশ্রমিক ও চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক, কৃষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সব ধরনের শ্রমিকের সৌদি আরবে যাওয়ার পথ সুগম হলো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সৌদি আরব গতকাল থেকে তাদের কম্পিউটার খোলা রেখেছে এবং এখন সৌদি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার জন্য আবেদন করবে। এই সুযোগে যাতে বাংলাদেশের কোনো অসৎ জনশক্তি রপ্তানি এজেন্সি ঢুকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নস্যাৎ করে দিতে না পারে, সে জন্য কঠোর মনিটরিংয়ের পরামর্শ দেন গোলাম মসিহ।বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সুফল হিসেবেই বাংলাদেশিদের নিয়োগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সৌদি আরবে কর্মরত ১৩ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার নারী গৃহকর্মী রয়েছেন। পুরুষ গৃহকর্মীদের ভিসা জুন থেকে ইস্যু শুরু হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পুরুষ গৃহকর্মী সৌদি আরবে আসছেন। প্রথম আলোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলেই দেশটি বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার দরজা খুলেছে। গতকাল দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশন চত্বরে সামাজিক বন বিভাগ আয়োজিত বৃক্ষমেলার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।শাহরিয়ার আলম বলেন, কয়েক বছর ধরে শুধু গৃহকর্মী ছাড়া অন্য কোনো পেশার জনশক্তি নেয়নি সৌদি আরব। সব পেশার জনশক্তি রপ্তানি করতে বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় থেকেই সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল। অবশেষে বুধবার দেশটির শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে সব পেশার জনবল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
249,031
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ আগস্ট ২০১৫, ২১:৫১
৩০ আগস্ট ২০১৫, ২১:৫২
রাজনীতি
null
জাতিসংঘের উদ্যোগে গুমের ঘটনা তদন্তের দাবি খালেদার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/617347
দেশে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলো জাতিসংঘের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন সরকারের নির্দেশেই এসব গুমের ঘটনা ঘটেছে।আজ রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজের কার্যালয়ে দলের নিখোঁজ নেতা-কর্মীদের স্বজনদের সহমর্মিতা জানাতে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ওই তদন্তের দাবি জানান।আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘অনন্ত অপেক্ষা’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নিখোঁজ হওয়া ২৬ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর জন্য কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার, এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনিস্ট ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেনস, দ্য এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ছিল এর আয়োজক।আজ সকালে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে দেখা যায়, যে মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা সেখানে পুলিশ সদস্যরা বসে আছেন। জানতে চাইলে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য জানান, ভোর থেকে তাঁরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।পরে এসব পরিবারের বেশ কয়েকজন যান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে। প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠান ‘করতে না দেওয়ার’ প্রতিবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার নির্দেশ দিয়ে ওই অনুষ্ঠান বাতিল করিয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার অধিকার নেই। কারো কথা বলার অধিকারও নেই। কেউ কোনো অনুষ্ঠানও করতে পারবে না।খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হওয়ার আগে কয়েকজন স্বজনের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘গুম’ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ‘অনন্ত অপেক্ষা’ নামে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এ সময় স্বজনদের ছবি দেখে অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। বক্তৃতায় স্বজনদের অনেকে সরকারের কাছে গুমের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।তবে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার কোনো দিনও তদন্ত করবে না। এদের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। তাই তিনি জাতিসংঘের অধীনে, দেশের নিরপেক্ষ লোকজনদের নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস ও গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানি, সরকারের নির্দেশ-আদেশ ছাড়া এসব কাজ র‍্যাব-পুলিশ করতে পারে না।’খালেদা জিয়া বলেন, যারা গুম-খুনে জড়িত একদিন তাদের বিচার হবেই। স্বজনহারারা অন্ততপক্ষে জানতে পারবেন, তাদের স্বজনদের কীভাবে গুম, হত্যা করা হয়েছিল। কোথায় তাদের কবর দেওয়া হয়েছে।এখন সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া বিএনপিরও তেমন কিছু করার নেই—এমন মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরা জানি না আমরা কী রকম থাকব, কখন গুম-খুন হয়ে যাব না; তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শুধু আল্লাহ জানেন। শুধু মানুষের আস্থার ওপর আমরা ভরসা করে চলি।’খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিদেশে দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।অনুষ্ঠানে বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর বলেন, তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন না।
164,131
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
১৩ মে ২০১৪, ০১:৫৪
১৩ মে ২০১৪, ০১:৫৬
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
কোচ নাকি পরামর্শক বেভান?
http://www.prothom-alo.com/sports/article/215041
বিসিবিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে প্রশ্নটা—কে হচ্ছেন জাতীয় দলের পরবর্তী কোচ? বিসিবির বাতাসেই কিন্তু ভেসে বেড়াচ্ছে অনেক নাম। তবে কাল পর্যন্ত ঘুরেফিরে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে আর মাইকেল বেভানে এসে ঠেকছিল সবকিছু। মনে হচ্ছিল এই দুজনের একজনই হতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পরবর্তী কোচ। কিংবা মিরপুরের নেটে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে দুজনকেই!এমন কথায় চমকে যেতে পারেন৷ যেখানে একজন বিদেশি কোচ পেতেই ঘাম ছুটে যায়, সেখানে একসঙ্গে দুজন! আসলে শেন জার্গেনসেনের উত্তরসূরি খঁুজতে গিয়ে বিসিবি একই সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল শ্রীলঙ্কার হাথুরুসিংহে আর অস্ট্রেলিয়ার বেভানের সঙ্গে। দুজনকেই পাঠানো হয় প্রস্তাবপত্র। শর্তে বনিবনা হলে ২০১৫ বিশ্বকাপ সামনে রেখে দুজনকে দুই ভূমিকায় কাজে লাগানোর চিন্তা ছিল বিসিবিতে। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য অনুয​ায়ী হাথুরুসিংহের চিন্তাভাবনা একটু অন্য রকমই৷কাল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেভানের দিক থেকে বিসিবি কিছু জানতে না পারলেও নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী কোচ এবং বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে প্রস্তাবপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল আগেই। কিন্তু আলোচনা শুরু হতে না-হতেই এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ফোন পেয়ে প্রচণ্ড বিরক্ত হাথুরুসিংহে। রেগেমেগে নাকি বাংলাদেশে না আসার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন বিসিবিকে। তাঁর ‘না’টাকে বিসিবি আবার ‘হ্যাঁ’ করার চেষ্টা চালালেও কাল ক্রিকইনফোকে দেওয়া হাথুরুসিংহের সাক্ষাৎকারের পর তারা তাতে সফল হবে না বলেই মনে হচ্ছে৷ সাক্ষাৎকারে হাথুরুসিংহে বলেছেন, শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার ডাক পেলে সাড়া দেওয়ার কথা বিবেচনা করে দেখবেন তিনি৷ আর সবার মতো তিনিও চান দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে৷হাথুরুসিংহে নতুন করে আলোচনা শুরু করলে সেটা বিসিবির কোচ সন্ধান কমিটির জন্য হবে বড় পাওয়া । তা না হলে হয়তো বেভানেই সমাধান খুঁজতে চাইবেন তাঁরা। চড়া বেতন আর অনেক কঠিন শর্ত দিলেও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন করেনি বিসিবি। বরং লিখিত প্রস্তাবপত্র পাঠিয়ে অপেক্ষা চলছে তাঁর জবাবের। সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে প্রধান কোচ হওয়ার জন্য মাসে ৩০ হাজার ডলারের বেশি বেতনের বাইরেও কিছু শর্ত দিয়েছেন বেভান। তিনি চুক্তিবদ্ধ হতে চান ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। দলের সঙ্গে থাকতে চান শুধু সিরিজ বা টুর্নামেন্টের সময়। প্রথম পছন্দ হাথুরুসিংহেকে আনতে না পারলে হয়তো এসব শর্ত কিছুটা শিথিল করার চেষ্টা করে বেভানকে রাজি করাতে চাইবে বিসিবি। আর সেটা না হলে তাঁকে নিয়ে আছে বিকল্প ‘প্যাকেজ’ ভাবনা।এই ‘প্যাকেজ’ অন্য কেউ প্রধান কোচ হলেও হতে পারে। ওয়ানডেতে ‘ফিনিশার’ কথাটার সৃষ্টিই যাঁর কারণে, ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে ৫৩.৫৮ গড় রানের সেই বেভানের ব্যাটিং-জ্ঞানটাকে কাজে লাগাতে চায় বিসিবি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অন্য কেউ প্রধান কোচ হলেও বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বেভানকে খণ্ডকালীন ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নেওয়ার বিষয় বিবেচনায় আছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ওয়ানডের ব্যাটিং কী ​রকম হওয়া উচিত, কীভাবে স্ট্রাইক বদলাতে হয়, এসব ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ ছেলেদের কাজে দেবে।’ সে ক্ষেত্রে মাসিক বেতনের ঝামেলায় না গিয়ে চুক্তি হবে থোক টাকার৷হাথুরুসিংহে আর বেভানের বাইরে প্রধান কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আর কেউ থাকলেও একান্ত নিরুপায় না হলে তাঁদের দিকে ঝঁুকবে না বিসিবি। যদিও কাল বিকেলে কোচ সন্ধান কমিটির সদস্য জালাল ইউনুস বললেন, ‘প্রধান কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তিনজন আছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি।’ কোচ খোঁজার কাজে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন বলে দাবি তাঁর, ‘শিগগিরই হয়তো আমরা কোনো একজনকে নিশ্চিত করব। বলতে পারেন প্রধান কোচ খোঁজার কাজ ৭৫ ভাগ শেষ।’জুনের মধ্যে বোলিং কোচ আর ট্রেনার নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী। বোলিং কোচ হিসেবে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিককে আনারই সম্ভাবনা বেশি। ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নেওয়া হবে স্থানীয় কাউকে। তবে বিশ্বকাপের আগে স্বল্প সময়ের জন্য আনা হতে পারে বিশেষজ্ঞ ফিল্ডিং কোচ।বিদেশি কোচদের নাম যখনই ঘোষণা হোক না কেন, আগামী মাসের ভারত সিরিজের আগে তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম। সে ​েক্ষত্রে জাতীয় দলের সাবেক কোচ সরওয়ার ইমরানকে দেওয়া হতে পারে ভারত সিরিজের দায়িত্ব। আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এখনো না পেলেও কাল টেলিফোনে সরওয়ার ইমরান বলেছেন, ‘দায়িত্ব পেলে আমি সেটা পালন করতে প্রস্তুত আছি।’
72,870
নোয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ মার্চ ২০১৪, ০১:১৮
২৮ মার্চ ২০১৪, ০১:১৯
নোয়াখালী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
দুই দল ছাত্রের মুখোমুখি অবস্থান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/178894
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মুখোমুখি অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাত এড়াতে কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত নেয়।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী আবাসিক ছাত্রীরা গতকাল দুপুরে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করে। দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃতীয় বর্ষের পাঁচ ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্ররা হলেন কাউছার আহমেঞ্চদ, কামরুল ইসলাম, শুভ সাহা, শাহ্ আলম ও প্রণব রায়।প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত বুধবার ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে একটি ছিল ভলিবল প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা জয়লাভ করে।বিজয়ী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে আনন্দ-উল্লাস করে। এতে পরাজিত তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়। তারা রাত নয়টার দিকে দ্বিতীয় বর্ষের ছয় শিক্ষার্থী রুপু মজুমদার, নির্যয় নাথ, ইফতেখার নাঈম, ফাহিম খোন্দকার, মাজেদুল হক, আবু হোসেনকে মারধর করে।এ ঘটনার জের ধরে গতকাল সকালে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভকারীরা তাদের সহপাঠীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়ে পড়ে।খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে শর্টগান থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে রিফাত ও আবির নামে দ্বিতীয় বর্ষের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।ফাঁকা গুলি ছুড়ে উত্তেজিত ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করার কথা স্বীকার করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।অধ্যক্ষ আবু নাছের মোহামঞ্চদ শামীম বলেন, খেলায় পরাজিত হয়ে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মারধর করলে ঘটনার সূত্রপাত। এ ঘটনায় পাঁচ ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
61,604
-1
sports
খেলা
১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:০৫
১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:০৬
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
অভিযোগ থেকে হোর্হে মেসির অব্যাহতি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/101794
অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে মুক্ত লিওনেল মেসি ও তাঁর বাবা হোর্হে মেসি। মেসিকে ‘নির্দোষ’ প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছিল আগেই। তবে স্পেনের এল মুন্ডো পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, অর্থ পাচার মামলায় মেসির বাবা হোর্হে মেসিকে নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। পর পরই তদন্তকারী কর্মকর্তারা সিনিয়র মেসি এর সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন। এর আগেই অবশ্য মেসির দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘লিওনেল মেসি ম্যানেজমেন্ট’ খবরটি উড়িয়ে দেয়, ‘হোর্হে মেসি কখনোই এই ঘটনার সঙ্গে জুড়িত ছিলেন না।’ঘটনাটা গত আগস্টের। মেসি ও তাঁর বন্ধুদের প্রীতি ম্যাচের আয়োজক কলম্বিয়ান এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে। স্পেন পুলিশ সেটিরই তদন্ত করছে এখন। কলম্বিয়ান প্রতিষ্ঠানটি নাকি এমন ম্যাচের মাধ্যমেই মাদক চোরাকারবারিদের অর্থ পাচার করছে বলে যত অভিযোগ। ওয়েবসাইট।
36,619
-1
international
আন্তর্জাতিক
৩১ জুলাই ২০১৫, ০২:৩৭
৩১ জুলাই ২০১৫, ০২:৩৮
এশিয়া
0
আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থিতা দাখিল করলেন সু চি
http://www.prothom-alo.com/international/article/589636
মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত বুধবার প্রার্থিতা দাখিল করেছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিই (এনএলডি) নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল এরই মধ্যে স্বীকার করেছে, তারা বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। খবর এএফপির।বুধবার মিয়ানমারের থানলিন শহরে গিয়ে এলাকার গ্রামীণ নির্বাচনী আসন কাহমু থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। এর মধ্য দিয়ে এনএলডির প্রথম প্রার্থী হিসেবে প্রার্থিতা দাখিল করলেন তিনি। এ সময় সু চির শত শত সমর্থক সেখানে জড়ো হয়। তারা নেচে-গেয়ে ও পতাকা উড়িয়ে এ ঘটনা উদ্যাপন করে। তবে সুচি এ সময় বক্তব্য দেননি।এনএলডির মুখপাত্র নিয়ন উইন বলেন, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সবুজ সংকেত দেওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী প্রচারণা শুরু করতে পারেন না। বর্তমানে সবাই সেই সংকেত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।এদিকে থানলিনের এই আনন্দ-উচ্ছল পরিবেশের বিপরীত চিত্র ইয়াংগুনে সু চির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভেতরে। আসন্ন নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে নিতে এখন থেকেই কার্যত ক্ষণ গণনা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। সাবেক সেনাসদস্যে ঠাসা দলটির সাধারণ সম্পাদক মং মং থেইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ২০১০ সালের মতো জয়ী হওয়ার ফল আশা করি না। এটা অসম্ভব।’
156,302
সৌমিত্র শেখর
opinion
মতামত
১১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৪
১১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৫:২৪
সৌমিত্র শেখর,মতামত,শিক্ষা,লেখকের কলাম
null
দিনে সাড়ে ১২ কোটি শ্রেণী-ঘণ্টা!
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/95377
হরতাল-অবরোধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা এলেই শুধু অর্থনীতির বাহ্যিক দিক নিয়ে এর ক্ষতি পরিমাপ করার চেষ্টা হয়। দৈনিক কত টাকার আলু-পটোল নষ্ট হলো, কত টাকার মাল রপ্তানি হতে পারত, শেয়ারবাজারের কী হলো—এ দিয়েই কি হরতাল-অবরোধের ক্ষতি বোঝায়? লেখাপড়ার ক্ষতি বলতে শুধু পরীক্ষা না হওয়ার ক্ষতিও বোঝায় না। এক দিন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা মানে সাড়ে ১২ কোটি শ্রেণী-ঘণ্টা পাঠ থেকে জাতিকে বঞ্চিত করা!!প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী প্রায় ৩০ লাখ পরীক্ষার্থীর ধর্ম পরীক্ষা ৩০ নভেম্বর শনিবার অবরোধের আওতায় পড়েছে। এর আগেও একবার পিছিয়েছে। এবার পরীক্ষাটি আরও সাত দিন পিছিয়ে পরের শুক্রবার অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। যারা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের গড় বয়স ১১ বছর। পরীক্ষার্থীদের অনেকে বলেছে: পরীক্ষা দেওয়ার ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে তারা। এই অভিযোগের উত্তর কি দেওয়া যাবে? সব ঠিক থাকলে ২০ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৮ নভেম্বর তাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।কিছুদিন আগে হরতাল, অবরোধের মধ্যে পড়ে কোনোমতে শেষ হলো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও দাখিল পরীক্ষা। সময়সূচিও ঘোষিত হয়েছে। তাদের হাতে আছে আর মাত্র দুই মাস সময়। এসএসসির পরপরই শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা। তা ছাড়া বিদ্যালয়গুলোতে এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রেণী পরিবর্তনের জন্য বার্ষিক পরীক্ষা। অর্থাৎ পরীক্ষার মৌসুম এখন। এটি ছাত্রজীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। যারা পাবলিক পরীক্ষা (পঞ্চম, অষ্টম, দশম, দ্বাদশ শ্রেণীতে) দেয়, তাদের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় পাবলিক পরীক্ষাগুলোর নম্বর বিশেষ গুরুত্ব পায়।আমাদের দেশে কতজন বিদ্যার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গমন করে—এর নির্দিষ্ট সংখ্যা কারও হাতেই নেই। অনেকে বলেন, চার কোটি। পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে বলা যায়: এ সংখ্যা সোয়া তিন কোটির মতো। যেমন: প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার্থী প্রায় ৩০ লাখ।প্রাক্-প্রাথমিক, এনজিও পরিচালিত বিশেষ বিদ্যালয় ইত্যাদি ধরলে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে বিদ্যার্থীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৮০ হাজার। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম—এ তিন শ্রেণীতে সারা দেশে নিশ্চয়ই এর সংখ্যা ৬০ লাখ। দেশের আটটি সাধারণ বোর্ড, একটি কারিগরি বোর্ড, একটি মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক অর্থাৎ সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী প্রায় ১৪ লাখ। নবম শ্রেণীকে ধরে এর সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। উচ্চমাধ্যমিক অর্থাৎ হায়ার সেকেন্ডারি সার্টিফিকেট (এইচএসসি), আলিম ইত্যাদি পরীক্ষায় প্রায় ১০ লাখ পরীক্ষার্থী। একাদশ-দ্বাদশ মিলে এর সংখ্যা ২০ লাখ।এই গেল প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত দেশের মোট বিদ্যার্থীর সংখ্যা: আনুমানিক দুই কোটি ৮৮ লাখ। এরপর উচ্চশিক্ষায় সাধারণত পাঁচটি বর্ষ এবং এখানে প্রতি বর্ষে গড়ে দেশে পাঠরত থাকে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ছাত্রছাত্রী।তাহলে দেশে উচ্চশিক্ষায় রত আছে অন্তত ২৫ লাখ বিদ্যার্থী। আগের দুই কোটি ৮৮ লাখের সঙ্গে এই ২৫ লাখ যোগ করলে দাঁড়ায় তিন কোটি ১৩ লাখ। সারা দেশে এ বিপুলসংখ্যক বিদ্যার্থী শ্রেণীকক্ষভিত্তিক অধ্যয়ন করে থাকে। এ সংখ্যার বাইরে আরও আছে দূরশিক্ষণ, নৈশশিক্ষণ, বিভিন্ন ডিপ্লোমা, প্রশিক্ষণ কোর্স ইত্যাদির অগণিত ছাত্রছাত্রী।আমরা আপাতত তিন কোটি ১৩ লাখ নিয়মিত বিদ্যার্থীর কথাই চিন্তা করি এবং ধরে নিই, তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক গড়ে চারটি শ্রেণী-ঘণ্টা শিক্ষকদের কাছে পাঠ গ্রহণ করে। তাহলে কিন্তু এ বিপুলসংখ্যক বিদ্যার্থী দৈনিক সাড়ে ১২ কোটি শ্রেণী-ঘণ্টা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ গ্রহণ করে থাকে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব সময়সূচি ও পরিকল্পনা থাকে বিদ্যার্থীদের পাঠদান ও সিলেবাস সমাপ্ত করে বিদ্যার্থীকে পরীক্ষার্থীতে পরিণত করার। শীতকালীন ছুটি, গ্রীষ্মাবকাশ বা উৎসবের ছুটিগুলো এ পাঠপরিকল্পনার মধ্যেই থাকে। এর বাইরে অনির্ধারিতভাবে এক দিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা মানেই পুরো পরিকল্পনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব!এ নেতিবাচক প্রভাবটি জাতীয় মহাক্ষতি হিসেবে দেখা দেয়, যখন দিনের পর দিন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্ধারিতভাবে বন্ধথাকে এবং বিদ্যার্থীরা শ্রেণীপাঠ থেকে বঞ্চিত হয়। সবাইকে ভাবতে হবে, হরতাল, অবরোধসহ অন্য যেকোনো কারণেই হোক, এক দিন অপরিকল্পিতভাবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ মানেই শিক্ষা খাতে ক্ষতি দৈনিক সাড়ে ১২ কোটি শ্রেণী-ঘণ্টা! শিক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই শ্রেণী-ঘণ্টাও বাড়বে।হরতাল, অবরোধের ক্ষতি শুধু আলু-পটোলের ক্ষতি দিয়ে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। আমাদের ভাবতে হবে এটাও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্ধারিতভাবে বন্ধ থাকায় প্রতিদিন সাড়ে ১২ কোটি শিক্ষা-ঘণ্টা বঞ্চিত হয়ে বাঙালি জাতির তরুণ প্রজন্ম মনোগতভাবে যে শুকিয়ে যাচ্ছে, এ শুষ্কতার বিরূপ প্রভাব পড়বে ভবিষ্যৎ জাতিগঠনে। এর ফলে বাঙালি চিন্তাপ্রবণ এবং সরস জাতির বদলে হয়ে উঠবে শুষ্ক ও বিকলাঙ্গ।এ সন্তানেরা আপাতত আপনার, আমার হলেও বৃহত্তর অর্থে জাতিরই সম্পদ। তাদের জ্ঞানহীনতার তমসায় ধাবিত করে রাজনীতিবিদেরা নিশ্চয়ই অন্ধকারময় বাংলাদেশ কামনা করবেন না!ড. সৌমিত্র শেখর: অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।scpcdu@gmail.com
34,934
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৫
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৬
রাজধানী (জাতীয়)
0
রেললাইনের দোকান উচ্ছেদ হলেও বস্তি সরেনি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/319102
রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং থেকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড পর্যন্ত রেললাইনের দুই পাশে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও রয়ে গেছে বস্তিঘরগুলো। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, রেললাইনের দুই পাশে ১০ ফুটের মধ্যে সাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ হলেও বস্তির বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছেন।গত বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তসংলগ্ন রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় চারজন নিহত হন। পরদিন কর্তৃপক্ষ কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং থেকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড পর্যন্ত রেললাইনের দুই পাশে ৭০টি দোকান উচ্ছেদ করে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উচ্ছেদ করা দোকানের বিভিন্ন অংশ পড়ে রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে রিট করা হয়েছে। রিটের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বস্তি উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।তবে এলাকাবাসী ও উচ্ছেদ হওয়া দোকানমালিকেরা অভিযোগ করেন, এটি রেল কর্তৃপক্ষের ‘লোক দেখানো’ অভিযান। কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং থেকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রেলক্রসিং পর্যন্ত রেললাইনের পাশে গড়ে উঠেছে কয়েক হাজার বস্তিঘর। এসব বস্তির কিছু ঘর আবার দোকান, ক্যারম খেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
93,142
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৭
০৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৮
আদমদীঘি,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার
0
বিয়ে করতে এসে বর কারাগারে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/415105
অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে এসে কারাগারে গেলেন বর জাহাঙ্গীর আলম (৩২)। গত শুক্রবার রাতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ধনতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার মটপুকুরিয়া গ্রামের হাইপত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একই গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে (জেএসসি পাস) কুইন আক্তারের (১৪) বিয়ে ঠিক হয়। নিজের গ্রামের লোকজনকে না জানিয়ে মেয়ের বাবা কৌশলে কুইনের নানাবাড়ি পাশের ধনতলা গ্রামে বিয়ের সব আয়োজন করেন। পরে গ্রামবাসী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিনকে অবহিত করেন।আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেম উদ্দীন জানান, ইউএনওর নির্দেশে পুলিশ গিয়ে বর জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে। অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুজ্জামান বর জাহাঙ্গীর আলমকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। গতকাল শনিবার তাঁকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
104,163
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৪৭
০৯ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৪৯
আমার চট্টগ্রাম
0
বেড়িবাঁধ ভাঙা, বাড়ছে ঝুঁকি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/498718
সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ভেঙে যাওয়া উপকূলীয় বেড়িবাঁধ চলতি বছরেও সংস্কার হচ্ছে না। এ–সংক্রান্ত প্রকল্প এখনো জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটিতে (একনেক) পাস না হওয়ায় থমকে আছে সংস্কারকাজ। ফলে সীতাকুণ্ড উপকূলের দুই হাজার পরিবার ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপকূলের ২৬ কিলোমিটারজুড়ে বেড়িবাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশের বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়াকূল থেকে আকিলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার, কুমিরা ইউনিয়নের কুমিরা ঘাট এলাকায় ২৫০ মিটার ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাক্কা মসজিদ এলাকায় আরও ২৫০ মিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়েছে। বিলীন হওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কার করতে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প প্রস্তাব করা হলেও একনেকে পাস না হওয়ায় কাজ শুরু হয়নি।বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে সীতাকুেণ্ডর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর, জমাদারপাড়া, বোয়ালিয়ারকূলের দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জোয়ারের তোড়ে ভেঙে যায়। এ ছাড়া কুমিরা ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কিছু অংশও জোয়ারে ভেসে যায়। এরপর একরকম অরক্ষিত অবস্থায় আছে এ এলাকার বাসিন্দারা।বেড়িবাঁধ না থাকায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন বাঁশবাড়িয়া ও কুমিরা এলাকার মানুষজন। বর্ষায় এসব এলাকা প্লাবিত হয় জোয়ারের পানিতে। পাশাপাশি বেড়িবাঁধ না থাকায় এলাকার অন্তত দুই হাজার একর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। ৪ এপ্রিল সরেজমিনে দেখা গেছে, আকিলপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের দেওয়া ব্লকগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। জমাদারপাড়া এলাকার বেশির ভাগ স্থানে বেড়িবাঁধের চিহ্ন নেই। সাগরের পাড়ে অবস্থিত বিভিন্ন গাছের মাটি সরে যাচ্ছে। কিছু গাছ পড়েও গেছে।আকিলপুর এলাকার বাসিন্দা মো. শফি বলেন, বর্ষাকালে তাদের গ্রাম ডুবে যায় জোয়ারের পাানিতে। তখন ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। ছেলেমেয়েরা স্কুল–কলেজে যেতে পারে না। রান্নাবান্নাও করা যায় না। অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গাও নেই। তাই ঝুঁকি নিয়ে বর্ষা কাটাতে হয়। জমাদার পাড়ার বাসিন্দা মো সোলায়মান প্রথম আলোকে বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর থেকে এ এলাকায় আর চাষাবাদ করা যায় না। তিনি ঝুঁকি নিয়ে চলতি বছর এক একর ২০ শতক জমিতে চাষ করেছেন মিষ্টি আলু। মাটির লবণাক্ত বাড়ায় ফলন তেমন ভালো হয়নি। বেড়িবাঁধ থাকলে জমিগুলোতে ফসল ফলানো যেত। বিষয়টি সম্পর্কে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, সীতাকুেণ্ডর বাঁশবাড়িয়া ও কুমিরার ভাঙা বেড়িবাঁধ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডও বিব্রত। বোর্ডের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতের সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। আশা করি, একনেকে প্রকল্পটি পাস হবে।
130,015
-1
life-style
জীবনযাপন
০৯ আগস্ট ২০১৬, ০০:০৮
০৯ আগস্ট ২০১৬, ০০:১০
নকশা,পরামর্শ
0
সুবন্ধু সমীপেষু
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/939985
এমন অনেক সমস্যা আছে, যা কাউকে বলা যায় না। এ রকম প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন সারা যাকের। সুবন্ধু সমীপেষু কলামে তারই সমাধান পাওয়া যাবে। এ বিভাগে চিঠি লিখুন সাদা কাগজের এক পিঠে সংক্ষেপে, ঠিকানাসহ। চিঠি পাঠানোর ঠিকানা: সুবন্ধু সমীপেষু, নকশা, প্রথম আলো সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। এ ছাড়া naksha@prothom-alo.info এই ঠিকানায় ই-মেইল করেও সমস্যার কথা জানাতে পারেন।আমরা দুই ভাইবোন। বাবা অনেকভাবে আমার মাকে কষ্ট দিয়েছেন। কিন্তু মা আমাদের সেসব বুঝতে দেননি। বাবা কয়েক মাস হলো ফেসবুকে একটা আইডি খুলে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করেন। সেসব চ্যাটিঙের ভাষা নোংরা। মা সেসব জানতেন না। হঠাৎ মোবাইলে সেসব চ্যাট দেখে মা খুব কষ্ট পেয়েছেন। আমরা সবাই এর প্রতিবাদ করাতে বাবা আমাদের মেরেছেন। বলেছেন, কথা বললে আমাদের সঙ্গে থাকবেন না, এমনকি খরচও দেবেন না। তিনি এসব নিয়মিত করবেন। কারও কথা শুনবেন না। আমরা চেয়েছিলাম পারিবারিকভাবে এসব মিটমাট করে ফেলতে। কিন্তু বাবা রাজি না। আত্মীয়দের কথাও শুনছেন না। আমরা কি তাঁর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে পারব? আমি মা-বাবার এই ৬০ বছর বয়সে এসে তালাক চাই না। শুধু তাঁকে সঠিক পথে ফেরাতে চাই। কিন্তু সেটা কীভাবে, বুঝতে পারছি না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।তুমি যে ঘটনার কথা বললে, সেই ঘটনা হরদমই ঘটছে আমাদের আশপাশে। আর সেটা এমন বয়সের মানুষের মধ্যেই ঘটছে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তোমাদের মা তোমাদের বাবার সঙ্গে আলাদা কথা বলেন।ছেলেমেয়েরা না জড়ালেই ভালো হয়। অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী নিজেদের মতো করে বোঝাপড়া করে নেয়। ছেলেমেয়েরা জড়ালে একটা পক্ষপাতিত্য এসে যায়। তখন যে অন্যায় করছে, সে আরও মারমুখো হয়ে ওঠে। সে ভাবে আমার ছেলেমেয়েরা তো সব সময়ই আমার বিরুদ্ধে। আমি তাহলে যা খুশি করতে পারি। তোমার মা যদি ভাবেন উনি এসব সহ্য করবেন না, তাহলে উনি নিজেই হয়তো কোনো পথ খুঁজে বের করবেন।আমার বয়স ২০ বছর। পড়ছি স্নাতক প্রথম বর্ষে। একটি মেয়েকে ভালোবাসি। এর আগে অবশ্য আমার আরেকটি সম্পর্ক ছিল। সেটি টেকেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে আমি মানসিক কষ্টে ছিলাম। আবেগের তাড়নায় একটি মেয়েকে ভালো লাগার কথা জানাই। সে রাজি হয়নি। তারপর হঠাৎ বর্তমান প্রেমিকার সঙ্গে দেখা। মনে থাকা কষ্ট আর আবেগের তাড়নায় মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলি। আমাকে সব সময় সে সমর্থন করত। মাঝেমধ্যে একটু-আধটু ঝগড়া হয়। লোকে বলে, আমরা হয়তো প্রেমিক-প্রেমিকা। এটা সে সহ্য করতে পারে না। আমার অজান্তে আমাকে নিয়ে সে অন্যদের সামনে এমন কিছু কথা বলে, যা মেনে নিতে কষ্ট হয়। তারপরও ভালোবাসি বলে মেনে নিই। আমি ওকে আমার ভালো লাগার কথা জানিয়েছি। কিন্তু সে রাজি নয়। অথচ এখন আমি ওকে ছাড়া কিছু ভাবতেও পারছি না। আমি ঠিকমতো খেতে পারছি না, পড়াশোনাতেও মন বসাতে পারছি না। ওর অন্য কোথাও প্রেমের সম্পর্কও নেই। তা-ও নাকি আমাদের দুজনের একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি যে ওকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছি না। বারবার বুঝিয়ে বলছি কিন্তু ওর একটাই উত্তর, ‘আই ডোন্ট কেয়ার।’ ভাবছি, ওকে ভুলে থাকার জন্য ড্রাগস নেওয়া শুরু করব। এত কষ্ট আমি নিতে পারছি না। আমি কাউকে বলতেও পারছি না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকতোমার এই প্রেমের ব্যাপার বুঝতে পারছ, একেবারেই একপেশে ছিল। তুমি বলেছ, অন্যরা বলত তোমাদের প্রেমিক-প্রেমিকা মনে হয়। একপেশে প্রেম হতেই পারে। একসময় ছিল, যখন একপেশে প্রেমই শুধু হতো। এখন তোমরা কলেজে একসঙ্গে পড়ো। তোমাদের দেখা-সাক্ষাতের সুযোগও অনেক।আগের দিনে কি ছেলেমেয়েদের কষ্ট হতো না? আমার উদাহরণ যদি দিই বা আমার মতো কারও। কাউকে দূর থেকে ভালো লেগেছে। তারপর হঠাৎ শুনলাম, সে বিদেশে চলে গেছে। কী যে কষ্ট হয়েছিল। মনে হয়েছিল, এই কষ্ট সইবার মতো নয়। তখন মাদকও (ড্রাগস) ছিল, তবে সেটা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনি। তুমি অবশ্যই ড্রাগস নেবে না। এই কষ্ট তোমাকে আরও দৃঢ় করবে। আর একদিন এই কষ্ট মিলিয়েও যাবে। তবে মাদক নিলে ফেরার পথ থাকবে না।
248,168
রাজধানী প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪৮
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪৯
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
সন্ধ্যা হলেই ভুতুড়ে পরিবেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/725818
পুরো উদ্যানজুড়ে চরে বেড়াচ্ছে গরু-ছাগল। উদ্যানের বেঞ্চে শুয়ে আছে ভাসমান লোকজন। ঘাসের ওপর লেপ-তোশক শুকাতে দেওয়া। উদ্যানের সীমানাপ্রাচীরের অবস্থাও নড়বড়ে। বেশির ভাগ বাতি নষ্ট বলে সন্ধ্যা হলে পুরো উদ্যানে সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ।অযত্ন-অবহেলায় এভাবেই নষ্ট হচ্ছে চন্দ্রিমা উদ্যানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। উদ্যানটি জাতীয় সংসদ ভবনের সন্নিকটে হওয়ায় এই সৌন্দর্যহানির প্রভাব পড়ছে সংসদ ভবনের ওপরেও।গতকাল মঙ্গলবার দেখা যায়, নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে উদ্যানের প্রবেশমুখে ক্রিসেন্ট লেকটির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। লেকের এক প্রান্তে ময়লা-আবর্জনা থেকে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। শ্রীলঙ্কার সাবেক রাষ্ট্রপতি শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের কাছ থেকে উপহার পাওয়া বোধি বৃক্ষের টিলার একপাশে ময়লা জমে থাকতে দেখা যায়।উদ্যানের পাশের ফুটপাত দখল করে তৈরি করা হয়েছে দোকানপাট। ভেতরের হাঁটা পথ ভেঙে গেছে কয়েক জায়গায়। সীমানাপ্রাচীরটির অবস্থাও বেশ নড়বড়ে। উদ্যানের ভেতরে রয়েছে দুটি মজা পুকুর, যেখানে জমে আছে ময়লা আর নোংরা আবর্জনা। গণভবনের পাশের পুকুরপাড়ে জমা করে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। নোংরা গন্ধ এত তীব্র যে নাকে রুমাল চেপে হাঁটতেও কষ্ট হয় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের।গতকাল বেলা একটার দিকে পুকুরে ভাসমান লোকজনকে গোসল করতে দেখা যায়। পুকুরের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে শেওলা ও বড় বড় ঘাস গজিয়ে উঠেছে। উদ্যানজুড়ে ময়লা ফেলার জন্য আলাদা বাক্স রাখা হলেও ময়লা ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র।উদ্যান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরের। গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬৭ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে উদ্যানটি। এখানে রয়েছে একটি মসজিদ, শৌচাগার ও আবর্জনা রাখার বাক্স। উদ্যানটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন মাত্র সাতজন কর্মচারী।সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশের দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে রাজনৈতিক পোস্টার। এ কারণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে মার্বেল পাথরের তৈরি দেয়াল। ভেতরে আলোক সরবরাহকারী বাতিগুলোর কয়েকটি বাদে বাকিগুলো নষ্ট হয়ে আছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়। এ কারণে সন্ধ্যা হলে পুরো উদ্যানে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়।উদ্যানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আব্দুল্লাহ হিল রাফি বলেন, ‘উদ্যানের নোংরা পরিবেশ এর সৌন্দর্য দিনে দিনে নষ্ট করে ফেলছে। প্রশাসন চাইলেই উদ্যানের পরিবেশ সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখতে পারে।’গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমানাপ্রাচীরটি মেরামতের অযোগ্য। এটি পুরোটাই বদলাতে হবে। রাস্তাগুলো মেরামতের জন্য সিরামিক ইটের প্রয়োজন হয়, যা অনেক ব্যয়বহুল। তাই মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।গণপূর্ত অধিদপ্তর বিভাগ-২ উপবিভাগ-৫-এর উপসহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও জনবলের অভাবে উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি অর্থবছরে উদ্যানের জন্য যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ থাকে, তার পুরোটাই খরচ হয়ে যায় উদ্যানের রাস্তা মেরামত ও তত্ত্বাবধানের কাজে। অতিরিক্ত বরাদ্দ না পেলে উদ্যানের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
187,768
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ জুলাই ২০১৮, ২৩:১৮
২৪ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৭
-1
null
তাঁর সঙ্গে কী করা হতো তিনি জানতেন না
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1538726
সৌদি আরব থেকে গত শনিবার রাতে দেশে ফিরে পরিবারের কাছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক নারী গৃহকর্মী। এর কারণ, তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি ধারণা করছেন, পরিবার কিছুতেই তাঁকে গ্রহণ করবে না। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী—সবাই তাঁকে ‘খারাপ মেয়ে’ বলবে।ওই নারীর সঙ্গেই দেশে ফেরা আরেকজন বাংলা প্রায় ভুলেই গেছেন। তবে আরবিতে যা বলছেন, সেটিও সম্পূর্ণ বাক্য হয় না। বেশির ভাগ সময় অসংলগ্ন কথা বলছেন তিনি। কাছে যাকে পাচ্ছেন, তাকেই জড়িয়ে ধরছেন। মানসিক ভারসাম্য প্রায় হারিয়ে ফেলা এই নারী বলছিলেন, তিনি আবার সৌদি আরব যাবেন এবং ওই দেশের মানুষকে ভালো করবেন। আবার কখনো বলছিলেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। অন্যরা তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। এ রকম অসংগলগ্ন অনেক কথার ফাঁকে বারবার বলছিলেন, তাঁর কোমরে ইনজেকশন দেওয়া হতো। তাঁর সঙ্গে কী করা হতো তা জানতেন না তিনি।সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা আরেক নারী পাবনার রেহানা। তাঁর দুই হাতে অসংখ্য কাটা দাগ দেখালেন। বললেন, তাঁকে খাবার দেওয়া হতো না। মারধর করা হতো। তবে ভাগ্য ভালো, কেউ তাঁর ‘সম্মান’ নষ্ট করেনি।রোববার দুপুরে রাজধানীর আশকোনায় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের লার্নিং সেন্টারে গিয়ে সৌদিফেরত ওই তিন নারীর সঙ্গে কথা বলে প্রথম আলো। তাঁরা ৩ জনসহ ৪৩ জন নারী শনিবার রাতে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন নারী পরিবারের ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। পরে তাঁর বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করে পরিবারকে খবর দেন ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির কর্মীরা। বিকেলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। অন্তঃসত্ত্বা নারীর পরিবারের কেউ তাঁকে নিতে আসেনি।ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের নারীরা ভাগ্য পাল্টানোর জন্য সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতে যাচ্ছেন। বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে এমনকি কেউ কেউ অন্তঃসত্ত্বা এবং মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। এই নারীদের পাশে পরিবার, সমাজ, বেসরকারি সংস্থা ও রাষ্ট্রকে সমন্বিতভাবে দাঁড়াতে হবে।ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মে থেকে চলতি ২১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার ৫৫০ নারী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে প্রায় সাত মাসে ১ হাজার ৪০০ নারী সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। এই নারীদের অনেকের বাড়িতে ফেরার মতো পরিস্থিতি থাকে না। ফেরত আসার খবর পরিবারের সদস্যরাও অনেক সময় জানতেও পারেন না। সরকারের কোনো সংস্থা এখন পর্যন্ত এই নারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না।সৌদিফেরত গৃহকর্মীদের বিষয়ে সরকার চোখ-কান বন্ধ করে বসে নেই বলে জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন কারণে নারীরা সৌদি আরব থেকে ফিরে আসছেন। সমস্যা সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিনিয়ত বৈঠক হচ্ছে। সরকার বর্তমানে গৃহকর্মীর কাজ করতে যাওয়ার আগেই বাছাইপ্রক্রিয়াটিকে বেশ কঠোর করেছে। এখন কেউ চাইলেই বিদেশ চলে যেতে পারছেন না। আর সৌদি আরব যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণের বিষয়টিতেও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।অভিবাসন খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, বিদেশে গিয়ে কোনো নারী নির্যাতনের শিকার হলে তার দায় ওই নারীর নয়। পরিবারের সদস্যরাই ওই নারীকে কাজের জন্য বিদেশ পাঠিয়েছেন। কোনো কারণে ওই নারী দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হলে পরিবারে সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি দরকার। আর সৌদি আরবসহ বিদেশে যেসব বাংলাদেশি কাজ করছেন, তাঁরা সংগঠিত হয়ে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির পাশে দাঁড়ালে নির্যাতনের মাত্রা কিছুটা কমে আসবে। তবে সবার আগে সরকারকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।
371,224
প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:১৭
২৩ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৩৪
সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ
0
বাড়ছে পানি, সুনামগঞ্জে হাওরের কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1475571
সুনামগঞ্জে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সুরমা নদীর পানি বেড়েছে। তাই হাওরের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের দ্রুত হাওরের পাকা ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে নদীর পানি বাড়লেও তাতে কৃষকদের আতঙ্কিত না হতে বলা হচ্ছে।সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের কাছে সুরমা নদীর পানি উচ্চতা ২ দশমিক ৭৪ মিটার। ২০ এপ্রিল পানি উচ্চতা ছিল ১ দশমিক ৭৪ মিটার। তিন দিনে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ মিটার। সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা হচ্ছে ৮ দশমিক ২৫ মিটার। আর হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের উচ্চতা সাড়ে ৬ মিটার। গত তিন দিনে সুনামগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয়ে ৫৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের উচ্চতার কাছাকাছি পানি চলে আসবে। তবে হাওরে এবার যেভাবে বাঁধ হয়েছে, তাতে ওই পানির চাপ সামলানো যাবে। যেহেতু হাওরে ৯০ শতাংশ ধান এখন পেকে গেছে, তাই দ্রুত সেই ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তবে হাওরপারের কৃষকেরা জানিয়েছেন, ধান পাকলেও শ্রমিক-সংকটের কারণেই মূলত কাটতে বিলম্ব হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন ধান লাগানোর কাজটি করলেও কাটার সময় বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এবার শুরু থেকেই হাওরে ধান কাটার শ্রমিক-সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় জেলার অন্য পেশায় যুক্ত শ্রমিকদের ধান কাটায় যুক্ত করার উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামও হাওরের পাকা ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষকদের।বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরপাড়ের কৃষক আবদুল কাদির জানান, শ্রমিক-সংকটের কারণে হাওরে ধান কাটায় বিলম্ব হচ্ছে। তবু লোকজন ধান কাটছে। আর ১৫ দিন সময় পেলে হাওরের সব ধান গোলায় তোলা যাবে।সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় গত বছর এ সময় ছিল ফসলহারা কৃষকদের হাহাকার ও কান্না। একের পর এক হাওরের ফসলহানিতে তখন দিশেহারা হয়ে পড়েন তাঁরা। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো। তাই গত বছরে নিঃস্ব কৃষকেরা এবার কষ্টে ফলানো সোনার ধান গোলায় তোলার চেষ্টা করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের প্রধান ফসল বোরো। জেলায় ছোট-বড় ১৫৪টি হাওরে বোরো ধানের আবাদ হয়। গত বছরের এপ্রিল মাসের অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার সব হাওরের বোরো ধান তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৯০টি কৃষক পরিবার। এ বছর ২ লাখ ২২ হাজার ৭১৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ২১ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ খান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জের হাওরে এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। মানুষ দ্রুত ধান কাটছেন। আমরাও কৃষকদের পাক ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।’ পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেছেন, ‘যেহেতু সুনামগঞ্জ এবং ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই সুরমা নদীর পানি বাড়বে। একই সঙ্গে হাওরে পানির চাপ সৃষ্টি হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধান কেটে ফেলা উচিত। আমরা কৃষকদের সেই পরামর্শই দিচ্ছি।’
361,819
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৪৯
২২ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫০
ঠাকুরগাঁও,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
অ্যাক্রোবেট দলের জাদুকরি প্রদর্শনী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/690331
মঞ্চের দুই প্রান্ত থেকে সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে এলেন অ্যাক্রোবেট শিল্পীরা। এক হলেন মাঝপথে। এরপর একজনের ওপরে একজন উঠতে শুরু করলেন। শেষে একজন তাঁর শরীর শূন্যে ভাসিয়ে দিলেন। করতালিতে মুখর হয়ে উঠল পুরো মিলনায়তন।ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী হয়। শিল্পকলা একাডেমীর অ্যাক্রোবেট দল এই প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। এর উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস।সোয়া এক ঘণ্টার মনোমুগ্ধকর এই প্রদর্শনীর শুরুতেই ছিল ভারসাম্যের খেলা জলি সিমেন। এরপর একে একে প্রদর্শিত হয় রোলার ব্যালান্স, হ্যান্ড স্কিল, নেক আয়রন বার, রোপ রাউন্ড, রিং জাম্প, মাউথ স্কিল, আংকারাসা, ওয়্যার ব্যালান্স, রিং ড্যান্স, ব্রিক স্কিল, রোপ জাম্প, সাইকেল ব্যালান্স প্রভৃতি। অ্যাক্রোবেট শিল্পীরা আকর্ষণীয় সব পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের আনন্দে মাতিয়ে রাখেন।অ্যাক্রোবেট শিল্পীদের পরিবেশনা শেষে বক্তারা বলেন, সুস্থ বিনোদনের সংস্কৃতি রক্ষায় অ্যাক্রোবেট অনুষ্ঠানের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের এই শিল্পীরা আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারবেন।
176,719
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৬
২৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৭
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
null
পেট্রলবোমা ছোড়ার সময় তিনজনকে গণপিটুনি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/433516
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ার চেষ্টার অভিযোগে গতকাল শনিবার ছাত্রশিবিরের নেতাসহ তিনজনকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।ওই তিনজন হলেন ফতুল্লার নবীনগর এলাকার মোহাম্মদ মোতালেব মিয়ার ছেলে ও ফতুল্লা থানা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন ওরফে শিহাব (১৯); রেলস্টেশন এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. মাহমুদ (২৫) এবং সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার মান্নান গাজীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৫)। মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ১০ থেকে ১৫ জন নাশকতাকারী বেলা একটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কের ফতুল্লার কাশীপুর দেওয়ানবাড়ি এলাকায় ঢাকাগামী দীঘিরপাড় পরিবহনের একটি বাস ব্যারিকেড দিয়ে গতি রোধ করেন। তাঁরা লাঠিসোঁটা দিয়ে বাস ভাঙচুর করেন ও পেট্রলবোমা ছোড়ার চেষ্টা করেন। আতঙ্কে গাড়ির যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন ধাওয়া দিয়ে তিন নাশকতাকারীকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে একটি ব্যাগে পাঁচটি পেট্রলবোমা ও কিছু গানপাউডার উদ্ধার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যান। আহত তিনজনকে নগরের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজ জানান, শিহাব ফতুল্লা থানা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক। অন্য দুজনও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, বাসে আগুন দেওয়ার সময় তিন নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
109,761
বান্দরবান প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ মে ২০১৭, ০১:১৬
১০ মে ২০১৭, ০১:১৯
বান্দরবান,অপরাধ
0
জাল ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে কাজ নেওয়ার অভিযোগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1175196
বান্দরবানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দরপত্রে জাল ব্যাংক গ্যারান্টি (বিজি) দিয়ে ১৭ কোটি টাকার কাজের কার্যাদেশ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে কয়েকজন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসেন ও হিসাবরক্ষক ফাইয়েজুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। এই অনিয়মের পরও দরপত্রের চুক্তি বাতিল না করে এলজিইডির প্রকৌশলীরা বলেছেন, জাল বিজিগুলো ঠিক করা হয়েছে।নথিপত্রে দেখা যায়, এডিবির অর্থায়নে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে’ নাইক্ষ্যংছড়ি-তুমব্রু সড়ক উন্নয়নে ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর ১২টি প্যাকেজে ৩৬ কোটি টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। মিল্টন ট্রেডার্স অ্যান্ড শিকদার জেভি এবং এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা জেভি নামের দুই প্রতিষ্ঠানের নামে যৌথভাবে ছয়টি প্যাকেজে প্রায় ১৭ কোটি টাকার কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার কামাল উদ্দিন ওরফে লেস কামাল, নাজমুল হাসান ভূঁইয়া, সাইদুল ইসলাম জুয়েল ও জসীম উদ্দিন ওরফে ভাগনে জসীম।প্রকল্পের বদলি হওয়া পিডি সুশঙ্কর চন্দ্র আচার্য বলেন, ঠিকাদারেরা ছয়টি কাজের বিলের জন্য নিরাপত্তা জামানত হিসেবে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার বিজি দিয়েছেন। যাচাই করে দেখা গেছে, পূবালী ব্যাংক কেরানীহাট শাখার সব কটি বিজিই জাল। ওই জাল বিজি দিয়েই ঠিকাদারেরা গত বছরের জুনে সাড়ে ৩ কোটি টাকার কাজের অগ্রগতি বিল তুলে নিয়েছেন। এ ছাড়া কাজের চুক্তিপত্রের সময় দেওয়া ১ কোটি ২০ হাজার টাকার নিরাপত্তা জামানতের ব্যাংক ড্রাফটও (বিডি) দুই মাসের মধ্যে নগদায়ন করে নিয়েছেন ঠিকাদারেরা। অথচ কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পর বিডি ফেরত দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।নাইক্ষ্যংছড়ি-তুমব্রু সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ছয়টি প্রকল্পের কাজ সবে শুরু হয়েছে। বৈদ্যেছড়াপাড়ার সৈয়দ আলম ও সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঠিকাদারেরা চার-পাঁচ মাস আগে কিছু নির্মাণসামগ্রী রেখে গেছেন। পাগলিছড়া সেতু নির্মাণে শ্রমিক সরদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঠিকাদারেরা টাকা না দেওয়ায় তাঁরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। কেলাতুল্যা খালের সেতু নির্মাণে কিছু মাটি কাটা হয়েছে। সেতু নির্মাণে এ অবস্থা দেখা গেলেও সড়কের মাটি কাটা, পাকাকরণ ও ইট বিছানোর কাজ এখনো শুরু হয়নি।এলজিইডির নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, ১২ কিলোমিটার সড়কের কামাল উদ্দিন, নাজমুল হাসান ভূইয়াসহ চার ঠিকাদারের কাজের অগ্রগতি ভালো নয়। বারবার তাগিদ দিলেও তাঁরা কাজ করছেন না।ঠিকাদার কামাল উদ্দিন ও সাইদুল ইসলাম বলেন, জাল বিজি দিয়ে এবং চুক্তিপত্রের সঙ্গে দেওয়া বিডি নগদায়ন করে তাঁরা ভুল করেছেন। টাকার সংকটে কাজ শুরু করতে না পারায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়ে এটি করেছেন। কিন্তু পিডির সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর দ্বন্দ্বের কারণে বিষয়টি জানাজানি হয়। তাঁরা এখন জাল বিজি ও নগদায়ন করে নেওয়া বিডি পূরণ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কাজ বন্ধ থাকলেও কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানান তাঁরা।বদলি হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসেন বলেন, ঠিকাদারদের দাবি সঠিক নয়। ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারেরা জালিয়াতি করে টাকা তুলে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো বিজি ও বিডি সঠিক জানানোয় সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।পূবালী ব্যাংক কেরানীহাট শাখার ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন আহমদ বলেন, বান্দরবানের কাউকে বিজি দেওয়া হয়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী বান্দরবান কার্যালয়ের কোনো চিঠিও পাননি। এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সৈয়দ নূর বলেন, গত বছরের ১৬ এপ্রিল নেওয়া তিনটি ব্যাংক ড্রাফট জুনে নগদায়ন করে নিয়ে গেছে।সিএইচটি-আরডিপির বর্তমান পিডি নুরুল কাদের বলেন, দরপত্রে জালিয়াতির ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। ঠিকাদারদের সঙ্গে এখনো চুক্তি বাতিল হয়নি, তাঁরা এখনো কাজ করছেন।বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন চাকমা বলেন, ছয় প্যাকেজের কাজের প্রক্রিয়ায় কিছুটা ভুল হলেও এখন আর কোনো সমস্যা নেই। সব ঠিক করে নেওয়া হয়েছে। দ্রুতগতিতে কাজ করিয়ে নেওয়া হবে।
316,630
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫০
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫২
বাংলা গান
0
কেমন গাইলেন অনুপমের স্ত্রী?
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1580303
তোমার ভেতর থেকে আমায় যেই এনেছ ডেকেতোমার ঘরের ভেতর আমার ঘর।এখন মন, অন্যজনতোমার আয়নায় নেই আমি। বৃষ্টিহীন, ক্লান্ত দিনআমার কথার পাগলামি। তুমি আমায় চেনো কি?...গানটির শিরোনাম ‘তোমার ভেতর থেকে’। গেয়েছেন পিয়া চক্রবর্তী। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি ভারতের বাংলা গানের এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক অনুপম রায়ের স্ত্রী। সম্প্রতি অনুপম রায় তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন গানটি। এরপর থেকে প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন এই দম্পতি। গানটি শুনে যাঁরা মন্তব্য করেছেন, তাঁরা লিখেছেন, ‘দারুণ! দারুণ!’ , ‘এই গানটা অনুপমদার অন্যতম ভালো লেখা!’ , ‘লেখা, সুর আর গাওয়া—অসাধারণ!’, ‘শহুরে কোলাহলের মধ্যে দাঁড়িয়ে বসন্তের আসল মাদকতা, তার স্নিগ্ধতা, রূপ–রস–লাবণ্য ধরা পড়েছে।’, ‘মৌসুমী ভৌমিকের ছোঁয়া লেগে আছে সুরে আর কথায়!’, ‘গানটা শুনে মনটা ভীষণ ভালো হয়ে গেল!’, ‘অপূর্ব, বারবার শুনতে ইচ্ছা করে। সত্যিই, এই বসন্তে শ্রেষ্ঠ উপহার!’, ‘দিদি ও দাদা, অসাধারণ একটা কনসেপ্ট!’, ‘আবার অবাক করলে।’, ‘সুরেলা যুগলবন্দীতে আপ্লুত!’—এমনই অনেক অনেক মন্তব্য।বসন্ত আর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ‘তোমার ভেতর থেকে’ গানটি এসেছে। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে অনুপম রায় বললেন, ‘গানটি অনেক দিন আগেই তৈরি করা হয়েছিল দেবেশ রায়ের একটি নাটকের জন্য। নাটকটির নাম “বিকেলে ভোরের সরষে ফুল”। নাটকের জন্য সেটা আমার প্রথম কাজ। গানটি পরেই ছিল। গানটা নিয়ে কী করা যায়? সেই ভাবনা থেকেই গানটা নিয়ে কাজ করা।’পিয়া চক্রবর্তী কয়েক মাস আগে আরও একটি গান গেয়েছিলেন, ‘কপালের ভাঁজে’। সেটাও অনুপম রায়ের পুরোনো গান। নতুনভাবে গানটা ফিরিয়ে আনা হয়। ‘তোমার ভেতর থেকে’ গানটিও সে রকমই। কিন্তু এই গানের অনেকটা লিখতে হয়েছে পিয়াকে। কারণ, নাটকের জন্য শুধু এই গানের একটা অংশ লেখা হয়েছিল। পিয়া বললেন, ‘গানটি অনেক দিন আগে শুনেছিলাম। তখন খুব ভালো লেগেছিল। এরপর আর শোনা হয়নি। ধুলোমাখা হয়ে গানটা পড়ে ছিল। তারপর মনে হলো গানটা নিয়ে কিছু করি।’ আর অনুপম রায় তাঁকে বললেন, ‘যদি গাইতে চাও, তাহলে লিখতে হবে।’ এ ব্যাপারে অনুপম রায়ের মত হলো, ‘অন্যের লেখা গান গাওয়া আর নিজের লেখা গান গাওয়ার মধ্যে ভাবের বিস্তর ফারাক থাকে। তাই যিনি গাইছেন, গানটা যদি তিনিই লেখেন, তাহলে নতুন কিছু হতে পারে।’ পরে ‘তোমার ভেতর থেকে’ গানের পুরোটা লেখা হলো। তাতে সুর দিলেন অনুপম রায়। সংগীত পরিচালনাও করলেন।পিয়া কবে থেকে গান করছেন? জানালেন, তিনি অনেক দিন সংগীতের তালিম নিয়েছেন। কিন্তু কখনো ভাবেননি নিজে গান লিখবেন বা শিল্পী হবেন। তাহলে ‘কপালের ভাঁজে’ তৈরি হলো কীভাবে? পিয়া বললেন, ‘গাইতে ভালোবাসি, তাই গেয়েছিলাম। ইউটিউবে আপলোড করার পর অনেকেই প্রশংসা করেছেন।’২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর অনেক দিনের বন্ধু পিয়া চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন অনুপম রায়। তিনি কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন আর পিয়া নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি করেছেন গ্রেটার নয়দার শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
391,331
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ জুলাই ২০১৪, ০০:৪৪
১১ জুলাই ২০১৪, ০০:৪৫
গাইবান্ধা,রংপুর বিভাগ,আইন ও বিচার,বিশাল বাংলা
0
১০ মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি প্রতারক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/264379
গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানিপাড়ার দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতারক নাহিদ ফেরদৌসকে ১০ মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।এদিকে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ নাহিদকে ধরছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটি প্রতারণার মামলায় ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট তাঁকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নাহিদ ফেরদৌস শহরের পলাশপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আনিছুর রহমানের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করতেন। নাহিদ ফেরদৌস ২০০৯ সালের ১০ জুলাই ব্যবসার অংশীদারি প্রদানের অঙ্গীকার করে আনিছুর রহমানের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা নেন। এর বিপরীতে নাহিদ ফেরদৌস উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড গাইবান্ধা শাখার অনুকূলে ১৮ লাখ টাকার একটি চেক আনিছুর রহমানকে দেন। টাকা উত্তোলনের জন্য আনিছুর চেকটি ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু নাহিদের হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে আনিছুর রহমান এ ব্যাপারে গাইবান্ধা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে নাহিদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট মামলার রায়ে আদালত প্রতারক নাহিদ ফেরদৌসের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা চেকের বাহক আনিছুর রহমানকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশসহ আদালত প্রতারকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু ১০ মাস ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রতারক নাহিদ ফেরদৌস প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে দেখেও না দেখার ভান করছে এবং গ্রেপ্তার করছে না।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিউর রহমান বলেন, প্রতারক পলাতক থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। তবে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। যে কোন দিন তিনি ধরা পড়তে পারেন।
76,832
ফরিদপুর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫১
১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫৩
ফরিদপুর,বিশাল বাংলা,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
0
অতিরিক্ত টাকা ফেরত আনতে গিয়ে ৩০ শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/425236
গোপালগঞ্জে একটি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা ফেরত আনতে গিয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে গোপালগঞ্জ সদরের গোপীনাথপুর ইউনিয়নের মেরি গোপীনাথপুর গ্রামের খন্দকার শামসুদ্দীন স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঁচজন শিক্ষার্থী জানায়, এ বিদ্যালয়ে গত নভেম্বর মাসে এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন বিভাগের ফরম পূরণে তিন থেকে চার হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। যদিও বোর্ড নির্ধারিত ফি ১ হাজার ৪০০ টাকা। সম্প্রতি হাইকোর্ট ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা ২০ জানুয়ারির মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারা প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার (গতকাল) বেলা ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক শামসুল হক মেল্লার কাছে গিয়ে বাড়তি টাকা ফেরত চায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং দপ্তরি নাসিম মিয়াকে দিয়ে আমাদের কারও কারও ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে তাঁর কক্ষ থেকে বের করে দেন।প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানায়, এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গোপালগঞ্জ শহরে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামালউদ্দীনের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে তারা গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের ঘটনাটি জানায়।গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ইউএনও মো. জামালউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি স্মারকলিপি দেখে শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’ফরম পূরণে বাড়তি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে খন্দকার শামসুদ্দীন স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাড়তি টাকা ব্যাংকে রাখা হয়েছে। এ টাকা আমার একার সিদ্ধান্তে উত্তোলন করা সম্ভব নয়। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ২০ তারিখের আগেই বাড়তি টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া হবে।’তবে প্রধান শিক্ষক দপ্তরি দিয়ে ছাত্রদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
107,253
-1
entertainment
বিনোদন
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:২৭
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৩০
আনন্দ,ঢালিউড
0
নতুন ছবি
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/443398
বিগ ব্রাদারকাল শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বিগ ব্রাদার ছবিটি। উইনার ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করেছেন শিপন, মাহিয়া মাহি, আহমেদ শরীফ, প্রবীর মিত্র, ড্যানি সিডাক, রেবেকা, বিপাশা প্রমুখ। ছবির গান লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও কবির বকুল। গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন শওকত আলী ইমন ও অদিত। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দিনাত জাহান, কনা, শারমিন রমা, দোলা, কিশোর ও হাসিব।ছবির পরিচালক সাফি উদ্দীন সাফি জানান, রোমান্টিক অ্যাকশন ধাঁচের গল্প নিয়ে ছবির কাহিনি গড়ে উঠেছে।জিরো ডিগ্রীজিরো ডিগ্রী ছবিটি দুই পর্বে মুক্তি পাচ্ছে। প্রথম পর্বে কাল শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। প্লে প্রোডাকশনসের ব্যানারে ছবিতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ, জয়া আহসান, তারিক আনাম খান, ইরেশ যাকের, টেলি সামাদ, রাব্বি, জায়িদ প্রমুখ। ছবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ভুপেন হাজারিকার গান রয়েছে। এছাড়া গান লিখেছেন অনিমেষ আইচ। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন, জেমস, ন্যান্সি, প্রীতম, সন্ধি প্রমুখ।ছবির পরিচালক অনিমেষ আইচ জানান, থ্রিলার ধাঁচের গল্প নিয়ে ছবির কাহিনি; যেখানে প্রেম, ঘৃণা, প্রতারণা আর প্রতিশোধের গল্প আছে।
112,826
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
০৬ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৩
০৬ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৮
বাণিজ্য সংবাদ
0
আলুর দাম কেজিতে ৬-৭ টাকা বেড়েছে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1015085
রাজধানীর খুচরা বাজারে হিমাগারের আলুর দাম কেজিতে ছয় থেকে সাত টাকা বেড়েছে। সপ্তাহ দু-এক আগেও যে আলু প্রতি কেজি ২৫ থেকে ২৬ টাকায় কেনা যেত, এখন তা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষে সাধারণত আলুর দাম কিছুটা বাড়ে। এ বছর আগাম আলুর আবাদ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দাম একটু বেশি হারে বেড়েছে।এদিকে বাজারে পেঁয়াজ, আদা ও কয়েকটি সবজির দাম কমেছে। দর পড়ে গেছে কাঁচা মরিচের। তবে সার্বিকভাবে সবজির বাজার এখনো চড়া। বেশির ভাগ সবজির দাম এখনো প্রতি কেজি ৫০ টাকার বেশি। অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন কোনো হেরফের নেই।রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে হঠাৎ আলুর দাম বেশ বড় লাফ দেয়। পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে এর আগের সপ্তাহে। কারওয়ান বাজারের আলুর আড়তের ৪ নম্বর দোকানের বিক্রয়কর্মী মো. জুয়েল গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, দুই সপ্তাহ আগে প্রতি বস্তা (৮০ কেজি) আলুর দাম ছিল ১ হাজার ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। এখন তা ১ হাজার ৮০০ টাকার কাছাকাছি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ হিসেবে আড়তে আলুর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি প্রায় পাঁচ টাকা।দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মো. জুয়েল বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উত্তরবঙ্গে আলুর আগাম আবাদ বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে।’মৌসুমের এ সময়ে বাজারে হিমাগারের আলু ও আগাম আবাদ হওয়া আলু বাজারে আসে। উত্তরবঙ্গের মোস্তফা কোল্ড স্টোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আলুর আগাম আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হয়তো ভাবছেন এ বছর আগাম আলু পুরোদমে বাজারে আসতে দেরি হবে। এতে তাঁরা হিমাগারে রাখা পুরোনো আলু বাজারে ছাড়ছেন ধীরগতিতে। তিনি বলেন, এখন বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশি। অন্যান্য সবজির দাম বেশি থাকলে আলুর দামও কিছুটা বাড়ে।কিছুদিন আগে থেকে বাজারে নতুন আলু আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন বাজারে প্রথম দিকে এ আলু ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন অবশ্য দাম কমে ৮০ টাকায় নেমেছে।নতুন আলুর মতো কমেছে শীতের সবজি শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম। প্রতি কেজি শিম এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় মিলছে, গত সপ্তাহে তা ৮০ টাকার বেশি ছিল। বেশ বড় আকারের ফুলকপি এখন প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা ছিল। গত সপ্তাহে ছোট বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় মিলত, এখন একই দাম দিয়ে আরেকটু বড় আকারের বাঁধাকপি কেনা যাচ্ছে। অন্যান্য সবজির দাম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা। এর কমে আছে কাঁচা পেঁপে, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা।গত সপ্তাহে কারওয়ান বাজার আড়তে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল আড়তের খুচরা বিক্রেতা তোতা মিয়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, তিনি নিজে কিনেছেন ৩০ টাকা কেজি দরে।বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজার আড়তে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকায় মিলছে। অন্যদিকে চীনা আদা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় মিলছে। আড়তের মসলা বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, মৌসুমের শেষ দিক হলেও পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি। এতে দাম কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা কমে গেছে।বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল ও চিনির দামে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি।
262,769
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৪৪
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৪৪
দূর্ঘটনা
0
পৃথক ঘটনায় সাতজনের অপমৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/153868
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনে পৃথক ঘটনায় সাতজনের অপমৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায়, তিনজন ট্রেনের ধাক্কায় ও ট্রেনে কাটা পড়ে, একজন বিষক্রিয়ায়, একজন গলায় ফাঁসজনিত কারণে এবং একজন তরল ভেসমল খেয়ে মারা গেছেন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় নিহত হন মাইনুদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। ধলপুর এলাকায় ওই ব্যক্তির গ্রিলের দোকান আছে।হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে আবদুল্লাহপুরের কোটবাড়ীসংলগ্ন রেললাইন থেকে আমিনুল ইসলাম নামের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খিলক্ষেত রেললাইন থেকে ৩০০ গজ উত্তরে মস্তকবিচ্ছিন্ন এক অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।এ দুটি ঘটনার ব্যাপারে কমলাপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, আমিনুল ট্রেনের ধাক্কায় ও ওই নারী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।একই থানার এএসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, সকালে কমলাপুর ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনের রেললাইন থেকে এক অজ্ঞাতনামা যুবকের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলোয়ার হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দেলোয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার দাবি করেছে।সকালে রূপনগর থানার পুলিশ রূপনগরের আরামবাগের এক বাসা থেকে সুরুজ্জামান (৩০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় তরল ভেসমল পানে লামিয়া তাওছিন (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
53,468
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:২৬
১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪
অপরাধ,পুলিশ,বিএনপি,রাজধানী
null
নয়াপল্টনে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1565180
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এ সময় পুলিশের ছোড়া প্যালেট বুলেটে (ছররা গুলির মতো) কমপক্ষে ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।আজ বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে এই সংঘর্ষ বাধে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করতে সরকার এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা পুলিশের একটি পিকআপসহ দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। সেখানে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।প্রত্যক্ষদর্শী একজনের ভাষ্য, হঠাৎ করে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এরপরই বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে, সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল। পুলিশ রাস্তায় তাঁদের দাঁড়াতে দিচ্ছিল না। বেলা পৌনে একটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বড় একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা-৮ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন। ওই সময় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাঁর মিছিল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে পুলিশের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে লাঠিপেটা করে। পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ প্যালেট বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। তবে বিএনপির নেতা, কর্মী ও সমর্থক এত বেশি ছিলেন যে পুলিশ সেখান থেকে পিছু হটে।একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন। তাঁরা রাস্তায় চলাচল করা অন্যান্য ব্যক্তিগত গাড়িও ভাঙচুর করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে সংঘর্ষ চলছিল।সংঘর্ষের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে আশপাশের এলাকার সড়কে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনাস্থলে পুলিশের জলকামান ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা আছে।তবে এখন পর্যন্ত সড়ক বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের দখলে রয়েছে।প্যালেট বুলেটে আহত ১২ জনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁরা হলেন পিরোজপুরের নেছারাবাদের মো. শামসুল হক, রাজধানীর মুগদার মেহেদি হাসান মিরাজ, অরিন, পল্টনের মো. কাদির, হৃদয় শেখ, মতিঝিলের মকবুল হোসেন, সবুজবাগের মনির হোসেন, খিলগাঁওয়ের মোস্তাক, কলাবাগানের সুমন, বিমানবন্দর থানা এলাকার মহিউদ্দিন রতন, মাদারীপুরের সাখাওয়াত হোসেন এবং পিরোজপুরের আসাদুজ্জামান। তাঁদের গলা, মাথা ও পিঠে গুলির আঘাত লেগেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের মতে, আরও অনেকে গুলিতে আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এ ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেলা পৌনে দুইটার দিকে ফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে সরকার। আওয়ামী লীগ শোডাউন করল, এত কিছু করল, কিছু হলো না। আজ বিএনপির নেতা-কর্মীদের কেন সরিয়ে দেওয়া হলো?’
382,422
বিশেষ প্রতিনিধি
economy
অর্থনীতি
১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২১
১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২১
বাণিজ্য
0
সরকারের ব্যাংকঋণ কমেছে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/424096
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকব্যবস্থায় সরকার নতুন করে কোনো ঋণ করেনি। বরং আগের নেওয়া বেশ কিছু ঋণ পরিশোধ করেছে। ফলে জুলাই-ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে সরকারের প্রকৃত বা নিট ঋণ সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা কমেছে।কিন্তু আগের বা ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ছয় মাসে ব্যাংক থেকে নিট ৫ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ঋণ করেছিল সরকার।তবে এ সময়ে সরকার সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বিপুল ঋণ সৃষ্টি করেছে।সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে দুভাবে ঋণ করে বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন করে। ব্যাংকব্যবস্থায় ঋণ করতে সরকার ট্রেজারি বিল ও বন্ড ছেড়ে অর্থ নিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও সরকার ঋণ নেয়।চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে নিট ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল ৩১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম ছয় মাসের হিসাবে ঋণ করেনি সরকার, বরং পরিশোধ করেছে।ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ব্যাংক খাতে সরকারের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। আর ছয় মাস আগে গত জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ২৪৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ ছয় মাসে সরকারের নিট ঋণ কমেছে ৩৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।তবে সাধারণভাবে দেখা যায়, অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে সরকারের অর্থের প্রয়োজন বেশি পড়ে, সে সময়ই ঋণ বাড়ে সরকারের।বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ করলে টাকা ছেপে বা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাকা বাজারে জোগান দেওয়া হয়। তাতে দেশে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা থাকে। আর বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ করলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রাপ্তিতে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক খাতে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের জোগান আছে, যার বড় অংশ অলস অর্থ।সরকারের ঋণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিগত ছয় মাসে ব্যাংকব্যবস্থায় সরকার ঋণ করে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পরিশোধ করেছে। গত ছয় মাসে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এর আগে নেওয়া ৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিয়েছে ৯ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা।কিন্তু এ সময়ে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে জনগণের কাছ থেকে অর্থ ধার করেছে। জুলাই-নভেম্বর সময়কালে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নিট ১১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা ঋণ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন গুণ।চলতি অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ করে ফেলেছে সরকার প্রথম পাঁচ মাসেই।
107,003
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ অক্টোবর ২০১৫, ০২:৪৯
০২ অক্টোবর ২০১৫, ০২:৫০
-1
0
রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা তথ্যভান্ডার করবে নির্বাচন কমিশন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/644338
নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে অবস্থানরত নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা তথ্যভান্ডার (ডেটাবেইস) তৈরি করবে। এ জন্য কমিশন রোহিঙ্গাদের তথ্য চেয়ে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরো ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ভোটার তালিকায় ঢুকে যাচ্ছে। সেটা রোধ করার জন্যই কমিশন তাদের জন্য আলাদা তথ্যভান্ডার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি দেওয়া হবে।নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সূত্র বলেছে, বর্তমানে তাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে কক্সবাজারের কুতুপালং ও নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে ৩০ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী বান্দরবান, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যা চার থেকে পাঁচ লাখ। এঁদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। অনেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়, কক্সবাজারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ভোটার বাড়ানোর জন্য রোহিঙ্গাদের ভোটার করেছেন। কমিশন তদন্ত করে এর সত্যতা পায় এবং অনেক রোহিঙ্গার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়। জেসমিন টুলী বলেন, বর্তমানে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কমিশনের কাছে কোনো তথ্য নেই। অন্তত এঁদের নাম-ঠিকানা ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা সম্ভব হলে তাঁদের কেউ ভোটার হয়েছেন কি না বা ভোটার হতে চাইলে তাঁদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
172,891
রানা আব্বাস
sports
খেলা
২৮ মার্চ ২০১৬, ০৯:২৩
২৮ মার্চ ২০১৬, ০৯:২৬
দেশের ক্রিকেট,টি ২০ বিশ্বকাপ ২০১৬
null
তামিমের আক্ষেপ, তামিমের পাওয়া
http://www.prothom-alo.com/sports/article/812392
এক হাতে ফুলের মালা, আরেক হাতে লাগেজ—বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে দ্রুত বেরিয়ে এলেন তামিম ইকবাল। মুখটা মলিন। ছবিটি গত বছর ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ বাজে গিয়েছিল তামিমের। ৬ ম্যাচে করেছিলেন ১৫৪ রান। দল ভালো করলেও নিজের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সে মুখ থেকে হাসিটা তাঁর মিলিয়ে গিয়েছিল কোন সুদূরে। কালও প্রায় একই ছবি। বাংলাদেশ দলের মধ্যে সবার আগে বেরিয়ে এলেন তামিম। কিন্তু মুখে হতাশার আঁধার। এবার টুর্নামেন্ট তামিমের দুর্দান্তই গেছে। তবুও কেন হতাশার আঁকিবুঁকি? সুপার টেনে দলের ব্যর্থতায় আড়াল হয়ে গেছে তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্স। ৬ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি, ৭৩.৭৫ গড়ে করা ২৯৫ রানটা তাই অর্থহীন মনে হচ্ছে তামিমের, ‘প্রায় ৩০০ রান, ৭০-এর ওপর গড়, ব্যক্তিগতভাবে সেরা বিশ্বকাপই গেছে। সুপার টেনে যদি দলকে জেতানো একটা ইনিংস খেলতে পারতাম, তাহলে আরও তৃপ্তি পেতাম। যতই রান করুন, দিন শেষে দল না জিতলে এই রানের আসলে কোনো অর্থ থাকে না।’ অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে তাসকিন আহমেদ-আরাফাত সানিকে হঠাৎ হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে পেল আরেকটি দুঃসংবাদ—জ্বর ও পেটের পীড়ায় খেলতে পারবেন না তামিম। ম্যাচটি না খেলতে পারায় আক্ষেপের শেষ নেই বাঁহাতি ওপেনারের, ‘ওই দিন শরীরের অবস্থা এমনই খারাপ ছিল, যদি খেলতাম হয়তো মাঠ থেকে সরাসরি দেশেই ফিরে আসতে হতো। অসুস্থতার প্রভাব ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও পড়েছে। খেয়াল করেছেন, ভারতের বিপক্ষে শারীরিকভাবে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলাম। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে একটা ম্যাচ না খেলতে পেরে খুবই খারাপ লেগেছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিপক্ষে ভালো খেললে পাওয়ার থাকে অনেক কিছু।’অস্ট্রেলিয়া, ভারতের বিপক্ষে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ইডেনে কেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাবে ভেঙে পড়া? উত্তর জানা নেই তামিমেরও, ‘১৪৫ রান অবশ্যই তাড়া করা মতো স্কোর ছিল। উইকেট কঠিন হলেও সেটি এমন ছিল না যে আমরা ৭০ রানেই অলআউট হয়ে যাব। ভালো খেলছিলাম টুর্নামেন্টে। কিন্তু শেষ ম্যাচে কেন এমন অল্প রানে অলআউট হয়ে যাব, নিজেরও জানা নেই।’ ছোট ছোট ভুলের যোগফলেই বড় ব্যর্থতা। তবুও এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তামিম খুঁজে নিচ্ছেন অর্জনের কিছু নুড়ি-পাথর, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি ভালো খেলছি, মানে এই নয় এই সংস্করণে অনেক ভালো দল হয়ে গেছি। হয়তো বড় ম্যাচগুলো জিততে পারিনি, তবে কিছু অর্জন আছে। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সঙ্গে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ভারতের বিপক্ষে তো প্রায় জিতেই গিয়েছিলাম আমরা। এই যে বড় দলগুলোর সঙ্গে লড়াই করেছি, ছয় মাস আগেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারতাম না তাদের হারিয়ে দেব। ৫-১০ শতাংশ ভুল না করলে আজ দলের চেহারাটা অন্যরকম হতে পারত।’ আজ না হোক, এসব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে নিশ্চয় টি-টোয়েন্টিতে অন্য বাংলাদেশকেই দেখা যাবে। তামিম, ভুল বলা হলো?
214,777
-1
entertainment
বিনোদন
০৮ জুলাই ২০১৭, ০০:০২
০৮ জুলাই ২০১৭, ০১:৩৫
সংস্কৃতি
0
শিল্পকলায় চার নাটক
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1242351
প্রতিষ্ঠার তিন যুগ পূর্তি উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে লোক নাট্যদল (সিদ্ধেশ্বরী)-এর চার দিনের নাট্যোৎসব। চার দিনের উৎসবের তৃতীয় দিন ছিল শুক্রবার। এদিন মঞ্চস্থ হয় চারটি নাটক। প্রতিটি প্রযোজনারই নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির অধিকর্তা লিয়াকত আলী।একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মূল মিলনায়তনে বিকেল চারটা থেকে পরপর তিন নাটকের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। নাটক তিনটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনালেখ্য মুজিব মানে মুক্তি এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর ও রথযাত্রা। সন্ধ্যায় একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে পদাবলি যাত্রা সোনাই মাধব।আজ শনিবার উৎসবের সমাপনী দিনে বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে ‘লোক নাট্যদলের কর্মমুখর তিন যুগ’ শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা সাতটায় পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে লীলাবতী আখ্যান।
325,064
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:০৭
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:০৯
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1085407
চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে গত রোববার রাতে ৪৫ হাজার ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. ইসমাইল ও মো. আবুল কালাম। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
295,735
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:২০
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:২৩
ক্রিকেট,এশিয়া কাপ
null
হাথুরুই ছেঁটে ফেলেছেন ম্যাথুসকে?
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1559222
২০১৭ সাল থেকে ব্যাটিং গড় ৫৯। তার পরও বাদ পড়তে হলো অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জায়গা হয়নি এশিয়া কাপের পর অধিনায়কত্ব হারানো এই অলরাউন্ডারের। ম্যাথুস এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধেকাল যে ছিল রাজা, আজ সে ফকির! অনেকটা এমন অভিজ্ঞতাই হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের প্রতিভা-শূন্যতার মধ্যে ম্যাথুস ছিলেন সবচেয়ে বড় ভরসাগুলোর একটি। সেই ম্যাথুসকে এখন অচল লাগছে লঙ্কান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। একে-ওকে বাতিল করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ আলোচিত নাম ছিলেন হাথুরু। শ্রীলঙ্কাতেও চলছে তাঁর এই দাওয়াই। তারই সর্বশেষ শিকার ম্যাথুস। অধিনায়কের পদ থেকেই শুধু নয়, এবার দল থেকেই বাদ পড়তে হলো এই অলরাউন্ডারকে। শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক গ্রায়েম ল্যাব্রুইকে সামনে রেখে পেছনে হাথুরু যে বড় ভূমিকা রেখেছেন, তা অনেকটাই পরিষ্কার।এশিয়া কাপের ভরাডুবির পর ম্যাথুসকে প্রথমে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন ম্যাথুস শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে দীর্ঘ চিঠি লিখে অভিযোগ করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এই ষড়যন্ত্র কে করেছে, তা অবশ্য উল্লেখ করেননি। তবে ভাসা ভাসা ইঙ্গিত ছিল কোচের দিকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য দল থেকেই ম্যাথুসকে বাদ দেওয়ার পর এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে।ভাস-মুরালির পর সাঙ্গা-জয়াদের বিদায়ের শূন্যতায় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট এখনো খাবি খাচ্ছে। সেই অবস্থায় টেস্ট ও ওয়ানডে দুই জায়গায় ৪৩ ও ৪২-এর ওপরে গড়ে রান করা, পাশাপাশি দারুণ পেসে বল করতে পারা ম্যাথুস তো রীতিমতো সম্পদ। তাঁর ফর্মও বাজে নয়। বরং ২০১৭ সালের পর থেকে তাঁর ব্যাটিং গড় ষাটের কাছাকাছি। তিন ম্যাচ আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ৯৭ করেছেন। সেই ম্যাথুসকে বাদ দেওয়ার যুক্তি কী? শ্রীলঙ্কান সমর্থকদের একটা অংশ তো বটেই, মিডিয়াতেও এই প্রশ্ন উঠছে।এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাঁর বক্তব্য, ফর্ম নয়, ফিটনেসের প্রেক্ষিতে বাদ পড়েছেন ম্যাথুস। ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের ফিটনেস বাজে বলেই তাঁর কারণে রান আউটের শিকার হচ্ছেন সতীর্থরা। হাথুরুর ব্যাখ্যায় যেটি দলের ডায়নামিকসে প্রভাব ফেলছে। এমনকি এও বলা হচ্ছে, বাজে ফিটনেসের কারণে ম্যাথুস এখন দলের জন্য বোঝা হয়ে গেছেন।হাথুরু বলেছেন, 'এই মুহূর্তে রানিং বিটুইন দ্য উইকেট আমাদের কাছে বড় দুশ্চিন্তার নাম। পুরো দলের জন্যই, শুধু ম্যাথুস বলে নয়। আমরা ওকে আরও ফিট অবস্থায় চাই। আমি জানি ২০১৭ থেকে ওর গড় ৫৯, তিন ম্যাচ আগেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯৭ করেছে। কিন্তু উদ্বেগের কারণগুলোও যথেষ্ট। যদি রেকর্ডের দিকেই তাকান, দেখবেন ও ৬৪টি রান আউটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এর মধ্যে ৪৯ বার ওর কারণে সতীর্থ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছে। এটা তো একটা বিশ্ব রেকর্ড। কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আমরা ভাবছি। অবশ্যই আমি চাই ও শ্রীলঙ্কা দলকে আরও অনেক কিছু দিক। কিন্তু ওকে ফিরে আসতে হবে যথাসম্ভব ঝরঝরে, যথাসম্ভব পরিষ্কার ভাবনা নিয়ে।'
377,997
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১৫ জুলাই ২০১৬, ০০:০৯
১৫ জুলাই ২০১৬, ০০:০৯
বাণিজ্য,প্রতিষ্ঠানের খবর
0
দেশে প্রথম সিএসআইসি চালু করল হুয়াওয়ে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/914332
টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে সর্বশেষ উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও পণ্য প্রদর্শনে ‘কাস্টমার সলিউশন ইনোভেশন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’ (সিএসআইসি) নামে একটি গবেষণাগার চালু করেছে চীনের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। ঢাকার গুলশানে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ সিএসআইসি সেন্টার’ নামের এ গবেষণাগার ও প্রদর্শনী কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর বিশ্বের কয়েকটি দেশে হুয়াওয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) এবং টেলিযোগাযোগভিত্তিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন তারানা হালিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর লিঙ্গুয়ান জুন।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্লাউড প্রযুক্তির মাধ্যমে সাজানো সিএসআইসিতে থাকছে হুয়াওয়ের বৈশ্বিক বিভিন্ন গবেষণা ফলাফলের তথ্য। আধুনিক টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো স্থাপনে হুয়াওয়ের স্বীকৃত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারণা আদান-প্রদানের সুযোগ থাকবে সিএসআইসিতে। দর্শনার্থীরা সিএসআইসিতে এসে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক জ্ঞানচর্চা, ধারণা আদান-প্রদান ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতি উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবেন। এ ছাড়া নিরাপদ নগরায়ণ, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), হুয়াওয়ের পি নাইন, মেট এইটসহ সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন ও এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সমাধানের অভিজ্ঞতা নেওয়া যাবে সিএসআইসিতে। ঢাকাসহ বর্তমানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন শহরে হুয়াওয়ের এমন ২০টি গবেষণাগার চালু আছে।হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাও হাওফু বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি বাজার ও ডিজিটাল অর্থনীতি হুয়াওয়ের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তিকে সহায়তা করবে সিএসআইসি।তারানা হালিম বলেন, হুয়াওয়ের এই সিএসআইসি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ উদ্যোগ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
240,375
সুজন ঘোষ, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৩৮
০৯ নভেম্বর ২০১৬, ০২:২৩
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে হবে শিক্ষা কার্যালয়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1017277
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে থানা শিক্ষা কার্যালয় ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। স্কুল ক্যাম্পাসে ভবন নির্মাণে আপত্তি জানিয়ে মাউশিকে চিঠি দিয়েছে কলেজিয়েট স্কুল।মাউশি সূত্র জানায়, ২০ তলার ভিত্তি দিয়ে ভবনগুলো নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ কিংবা ছয়তলা নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ভবন উপরের দিকে সম্প্রসারণ করা হবে। বর্তমানে ভবনের নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে। গত সপ্তাহে ভবন নির্মাণের স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন মাউশির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।মাউশি ও কলেজিয়েট স্কুল সূত্র জানায়, মাউশি গত মার্চে কলেজিয়েট স্কুল ক্যাম্পাসে থানা শিক্ষা কার্যালয় ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্তের কথা গত ৯ জুন কলেজিয়েট স্কুলকে চিঠি দিয়ে জানায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চল। মাউশির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ জুন কলেজিয়েট স্কুলের একাডেমিক কাউন্সিলর ও শিক্ষক পরিষদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে জায়গা সংরক্ষণ এবং প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সুন্দর ও নিরাপদ রাখার স্বার্থে ক্যাম্পাসে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় ভবন নির্মাণ না করার পক্ষে মত দেন। তাঁদের অসম্মতির কারণে ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে গত ১৬ জুন চিঠি দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলের ক্যাম্পাসে অন্য একটি অফিস হলে বাইরের লোকজনের আনাগোনা বাড়বে। এতে ঐতিহ্যবাহী স্কুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হবে। এই অফিস অন্য যেকোনো জায়গায় করা যেতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে কলেজিয়েট স্কুল সম্প্রসারণ করতে চাইলে অন্য এলাকায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই স্কুলের জায়গায় থানা শিক্ষা অফিস ভবন নির্মাণে আপত্তি জানানো হয়েছে।কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন চট্টগ্রাম কলেজিয়েটসের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাক হোসাইন বলেন, ‘একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন সরকারি অফিস হবে? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিসের পরিবেশ ভিন্ন। থানা শিক্ষা অফিস ভবন নির্মাণ করা হলে কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারকে অনুরোধ করছি।’মাউশি সূত্র জানায়, ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়ের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণের একটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে থাকা খোলা জায়গাটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এর আশপাশে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাসা।মাউশির চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্কুলের পরিত্যক্ত অথবা আপাতত প্রয়োজন নেই, এ রকম জায়গায় ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে। এতে বিদ্যালয়গুলোই লাভবান হবে। কেননা ভবনের নিচের তিনটি তলা স্কুলগুলোকে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।’কলেজিয়েট স্কুলের আপত্তি প্রসঙ্গে মো. আজিজ উদ্দিন জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে ভবন নির্মাণে কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সম্মতি দিয়েছেন। স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সে জন্য ভবনগুলোর প্রবেশমুখ থাকবে পাশের রাস্তামুখী।এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরাও সরকারি প্রতিষ্ঠান, ওরাও সরকারি প্রতিষ্ঠান। এখন তারা স্কুলের জায়গায় ভবন নির্মাণ করতে চাইলে তো বাধা দিতে পারি না। তবে না করার পক্ষে আমাদের যুক্তিগুলো তুলে ধরে তাদের চিঠি দিয়েছি।’নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়ে থানা শিক্ষা অফিস ভবন নির্মাণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মৌখিকভাবে শুনেছি। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না।’
263,729
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৪৪
১৮ মার্চ ২০১৮, ১১:৫০
ক্রিকেট,সাকিব আল হাসান
null
সাকিব আছেন, সাকিব নেই!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1429226
টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন না সাকিবসুস্থ হতে লাগবে আরও দুই সপ্তাহনির্বাচকেরা তাঁকে প্রথম টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডেই রেখেছিলেনসাকিবের লক্ষ্য এখন মার্চে শ্রীলঙ্কার নিধাস ট্রফিটেস্ট সিরিজে সাকিব আল হাসানকে ছাড়া ভুগেছে বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টে আড়াই দিনে হেরে সে ভোগান্তির ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু সাকিবহীন ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই মিলছে না টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। সাকিব নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন আঙুলের চোট থেকে সেরে উঠতে আরও সপ্তাহ দু-এক লেগে যেতে পারে তার। সে কারণেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার প্রত্যাশা তিনি নিজেও আর করছেন না।মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্য বাংলাদেশের যে স্কোয়াড ঘোষিত হয়েছিল, সেটাতে রাখা হয়েছিল সাকিবকে। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের মন্তব্য বেশ অবাক করছে সবাইকে। সাকিব যে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন না, সেটি নাকি তিনি আগে থেকেই জানতেন, ‘১৫ তারিখে সাকিব যে খেলতে পারবে না, সেটা তো জানতামই। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাকে পাচ্ছি না। তবে পরেরটিতে প্ল্যান আছে তাকে নিয়ে।’পরের টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে নিয়ে মিনহাজুলের ‘প্ল্যান’টাও বাস্তবায়িত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। আজ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এক অনুষ্ঠানে এসে সাকিব বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজে আসলে খেলার বোধ হয় সম্ভাবনা নেই। কারণ ডাক্তার বলেছে পুরো ক্ষত সারতে আরও দুই সপ্তাহ লাগবে। সে রকম হলে আসলে কীভাবে খেলব। আশা করি, দুই সপ্তাহের পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া শেষ করে শ্রীলঙ্কায় নিধাস কাপে খেলতে পারব।’সেরে উঠতে আরও দুই সপ্তাহ লেগে যাবে—এটি সাকিব নিজেই বললেন। কিন্তু প্রধান নির্বাচক জানিয়েছিলেন সাকিবের সেরে উঠতে লাগবে সাত দিন। তাঁর এ কথায় সমন্বয়হীনতাই কি ফুটে উঠছে না?টি-টোয়েন্টিতে থাকতে না পেরে সাকিব নিজেও বেশ হতাশ। সবচেয়ে বেশি হতাশ দলের পারফরম্যান্সেই, ‘সবারই তো লক্ষ্য ছিল জেতার। কিন্তু ক্রিকেটে সবাই যেটা চায়, সব সময় সেটা হয় না, এটিই স্বাভাবিক। তবে আমি খুবই আশাবাদী যে টি-টোয়েন্টিতে আমরা ঘুরে দাঁড়াব এবং ভালো একটা রেজাল্ট করতে পারব।’
354,609
-1
entertainment
বিনোদন
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০১
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০১
বিনোদন
0
abc আজকের আয়োজন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/828133
ক্লোজআপ প্রেজেন্টসহ্যালো ৮৯২০আরজে কিবরিয়ার সঙ্গেরাত ১২টা থেকে ২টাস্পিডব্রেকারে: গ্রামীণফোন লাউঞ্জসন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট থেকে ৭টা ৫০ মিনিট
220,088
মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ জুলাই ২০১৭, ০২:০৩
২৩ জুলাই ২০১৭, ০২:০৪
চাঁদপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1261886
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের দুটি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ের উদ্যোগে স্থানীয় মোহনপুর আলী আহম্মদ মিয়া বহুমুখী মহাবিদ্যালয় মাঠে ওই খেলা হয়।উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় প্রথম ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার নাছিরারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দল ২-০ গোলে ৫৩ নম্বর গজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় অপর ফাইনাল খেলায় স্থানীয় ৬১ নম্বর মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেয়েদের দল ২-১ গোলে ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেয়েদের দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।সূত্রটি আরও জানায়, খেলা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ী ও পরাজিত দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজ মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ছেংগারচর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ। এতে আরও বক্তৃতা করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার।
328,128
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ জুলাই ২০১৬, ০০:১০
২৭ জুলাই ২০১৬, ০০:১১
লালমনিরহাট,বিশাল বাংলা
0
মানববন্ধন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/926287
লালমনিরহাটের বড়বাড়ী থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর পর্যন্ত চলাচলের রাস্তা দ্রুত সংস্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লালমনিরহাট-পাটগ্রাম-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের মিশন মোড় এলাকায় অবস্থিত জেলা মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে ওই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি আসাবুল হাবিব, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, জেলা মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ প্রমুখ।
243,992
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুলাই ২০১৪, ০১:১০
২২ জুলাই ২০১৪, ০১:১৩
পটিয়া,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
বাজেট ঘোষণা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/274063
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের ২৯ কোটি ৯২ লাখ ৮১ হাজার ৫৮৩ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। নাগরিকদের ওপর কোনো হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি না করে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় পৌর কার্যালয়ের সভাকক্ষে মেয়র মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেটে উন্নয়ন খাতে ২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, রাজস্ব খাতে পাঁচ কোটি ৪২ লাখ ৮১ হাজার ৮৫৩ টাকা ধরা হয়েছে। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৭৯ টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ৮২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। রাজস্ব উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮৩ টাকা এবং রাজস্ব তহবিল থেকে উন্নয়ন বাজেটে স্থানান্তর করা হয়েছে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। উন্নয়ন বাজেটে বিভিন্ন খাতে সরকার থেকে নয় কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে।
79,861
পার্থ শঙ্কর সাহা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৫৭
১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০২:১৮
সাঁথিয়া,অপরাধ,রাজশাহী বিভাগ,পাবনা
null
হামলা হয় সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/77128
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি দলের কর্মীদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করার কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে। এতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।২ নভেম্বর সাঁথিয়ার হিন্দু-অধ্যুষিত তিনটি গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার ওপর কমিশন এই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করে। ঘটনার প্রতিকারের জন্য প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে। তবে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন পাবনার পুলিশ সুপার।আর পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম সাইদুল হক বলেছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের দু-একজন কর্মী জড়িত ছিলেন।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল ৭ নভেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে। পরে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ১৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাকে চিঠি দেন।প্রতিবেদন ও চিঠিতে ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে বলা হয়েছে, ফেসবুকে নবী করিম (সা.) সম্পর্কে উপজেলার বনগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী বাবলু সাহার ছেলে রাজীব সাহা কটূক্তি করেছেন—এমন অভিযোগে কতিপয় যুবক ২ নভেম্বর কথিত ফেসবুকের কপি প্রিন্ট করে বাবলু সাহার বাড়িতে চড়াও হয়। তারা রাজীবকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। পরে দুপুর ১২টায় বনগ্রাম বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাবলু সাহার বাড়িসহ বনপাড়া বাজার, সাহাপাড়া ও ঘোষপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩০-৪০টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ঘরবাড়ি ধ্বংসসহ দুটি মন্দির ভাঙচুর করে।প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁদা পেতে ব্যর্থ হয়ে ধর্মের নামে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে কিছু সুযোগসন্ধানী সংখ্যালঘুদের বাড়িতে এই হামলা, লুটপাট চালায়। যার পরোক্ষ প্রতিফলন হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে হিন্দুদের পঙ্গু করে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনষ্ট করা। বাবলু সাহা নিয়মিত চাঁদা দিতেন। পুলিশ প্রশাসন যথাসময়ে ও যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ঘটনার ভয়াবহতা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যেত। কে ফেসবুকের কপি প্রিন্ট করে এর ফটোকপি করে বিতরণ করল, তা এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। ঘটনাটি প্রতিরোধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।অবশ্য পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজউদ্দিন আহম্মেদ গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই গুজব রটেছে সকাল ১০টার দিকে। কিন্তু তখন কেউ আমাদের জানায়নি। এরপর দুপুর ১২টার দিকে সমাবেশ শুরু হলে আমরা জানতে পারি। পুলিশ-র‌্যাব তৎক্ষণাৎ এলাকায় ছুটে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়।’ তিনি বলেন, তিন-চার হাজার লোক জড়ো হয়েছিল। পুলিশ তাদের শান্ত করার সময় একটি দল হিন্দুপাড়ায় হামলা চালায়। এলাকায় চাঁদাবাজি সম্পর্কে তিনি জানান, এমন অভিযোগ কেউ তাঁদের কাছে আগে করেননি।মন্ত্রিপরিষদের সচিবকে দেওয়া মিজানুর রহমানের চিঠিতে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন প্রকাশ্যে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং বাজারেও সভা আহ্বান করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন ঘটনার আগে তথ্য সংগ্রহ করে সরকারকে দিতে ব্যর্থ হয়েছে অথবা এই নারকীয় নাশকতা প্রতিরোধে কেন সরকারকে অবহিত করেনি, তারা কার স্বার্থ রক্ষা করেছে, এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। অন্যথায় এ-জাতীয় ব্যত্যয় ঘটিয়ে সংস্থাগুলো সরকারকে আরও বিপদে ফেলবে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে।চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, রামু, বাঁশখালী, সাঁথিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ এবং তা সরকারকে দিতে গোয়েন্দা সংস্থার চরম ব্যর্থতা রয়েছে। মতবিনিময়ে স্থানীয় জনগণ তাঁকে বলেছেন, ঘটনার সময় পুলিশের ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা ছিল সন্দেহজনক। তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ঘটনার পরপরই দুটি মামলা করা হলেও দুর্বৃত্তরা এখনো রাজনৈতিক আশ্রয়ে ঘোরাফেরা করছে বলে স্থানীয় জনসাধারণ জানিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সাঁথিয়ায় হিন্দুদের নিয়মিতভাবে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয়।মিজানুর রহমানের চিঠিতে দ্রুত সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি ও মন্দির নির্মাণ এবং দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশনা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক নেতাদের দুর্বৃত্তপনা প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ঘটনার দিন হিন্দুদের রক্ষা করতে গিয়ে অনেক মুসলমান আহত হন বলেও স্থানীয় ভুক্তভোগীরা কমিশনকে জানিয়েছেন।প্রতিবেদনে ১০ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা, কারা ফেসবুকের কপি প্রিন্ট করে বিতরণ করল, মসজিদে কারা মাইকিং করে উসকানি দিল, তাদের চিহ্নিত করা এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচারে সোপর্দ করা।হামলায় সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম সাইদুল হক বলেন, ‘আমাদের দলের কেউ কেউ থাকতে পারেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগের দু-একজন আছেন, এঁরা কেউ পদধারী নন।’ তিনি বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনাই হয়তো মূল বিষয়। স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির লোক এই হামলার সুযোগ নিয়েছেন। তদন্তে দলের কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ থাকলে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
29,021
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
bangladesh
বাংলাদেশ
৩১ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৪১
৩১ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৪২
সাভার,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার কবজি ও পায়ের রগ কর্তন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/136195
পূর্ববিরোধের জের ধরে শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন সিরাজির (৩০) বাঁ হাতের কবজি ও দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের সীমান্তবর্তী সাভারের বটতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমাইলকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। ইসমাইল হোসেন সাভারের ঝাউচর গ্রামের লিচু মিয়ার ছেলে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি জমির ব্যবসা করেন।প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঝাউচর এলাকার ইব্রাহীম ও কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন মাতলামি করছিলেন। এ সময় আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করলে ইব্রাহীম ও আনোয়ার তাঁকে মারধর করেন।ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় বটতলী বাজারে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে ইব্রাহীম ও আনোয়ারের বাগিবতণ্ডা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই ইসমাইলের সঙ্গে ইব্রাহীম ও আনোয়ারের বিরোধ চলে আসছিল। বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে ইব্রাহীম ও আনোয়ার চলে যান। আধা ঘণ্টা পরে ইব্রাহীম ও আনোয়ার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল হোসেনসহ স্থানীয় সন্ত্রাসী খবির, মনির ও কাদিরকে নিয়ে বটতলী বাজারে গিয়ে উপস্থিত লোকজনের সামনে ইসমাইলের ওপর হামলা চালান। এ সময় ইসমাইলের লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে ইটের আঘাতে আহত হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাবুল, ইব্রাহীম ও তাঁর লোকজন চাপাতি এবং রামদা দিয়ে কুপিয়ে ইসমাইলের দুই পায়ের রগ কেটে দেন। তাঁর বাঁ হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা কবজি হাতে নিয়ে উল্লাস করতে করতে বাজার থেকে চলে যান।কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেজাউল কবীর বলেন, ঘটনাস্থল সাভার ও কেরানীগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান সেখানে যান। এ সময় তিনি ইটের আঘাতে আহত হন।সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, উভয় পক্ষের বিরোধের জের ধরে ইসমাইলের দুই পায়ের রগ ও হাতের কবজি কেটে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
47,801
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪১
০৬ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪১
অপরাধ
0
মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/704293
ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির পুলিশ গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।রুশ স্বার্থে হামলা করতে আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১০ জন সিরীয় নাগরিক মালয়েশিয়ার প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে ঢুকেছেন বলে গত শুক্রবার খবর প্রকাশিত হয়।মালয়েশিয়া পুলিশের প্রধান খালিদ আবুবকর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনই বিদেশি নাগরিক। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে।পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে একজন ইউরোপীয় নাগরিক রয়েছেন। ৪৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি পেনাং প্রদেশের একটি প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা এই ব্যক্তি আফগানিস্তান ও বসনিয়ায় জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। অন্য চারজনের মধ্যে একজন মালয়েশীয়, একজন বাংলাদেশি ও দুজন ইন্দোনেশীয়। এই চারজন আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সেলের সদস্য, যাঁদের ওপর দায়িত্ব ছিল বিদেশে জঙ্গিবাদী কাজে অংশ নেওয়ার জন্য লোকজন সংগ্রহ করা। এই সেলের নেতৃত্বে ছিলেন ওই দুই ইন্দোনেশীয় নাগরিকের একজন, যিনি ২০১৪ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আইএসের প্রধান আবুবকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
180,749
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
entertainment
বিনোদন
২৮ মার্চ ২০১৮, ১১:৫২
২৮ মার্চ ২০১৮, ১১:৫৫
টেলিভিশন
0
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির খতিয়ান
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1458611
দেশের টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচিত কমিটি পার করল এক বছর। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শহীদুল আলম সাচ্চু এবং আহসান হাবীব নাসিম। বছরজুড়ে নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে মুখর ছিল এই সংগঠন। তবে কমিটির সভাপতি মনে করেন, অভিনয়শিল্পীদের ভোটের মাধ্যমে একটা নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব পালন করছে, এটাই সবচেয়ে বড় সফলতা। একই সঙ্গে নির্বাচন আয়োজনটিও একটা বড় সফলতার অংশ মনে করেন তিনি।গতকাল প্রথম আলোর সঙ্গে অভিনয়শিল্পী সংঘের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে কথা হয় সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চুর সঙ্গে। ওপরের সফলতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে অভিনয়শিল্পীদের জন্য আমরা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। যেমন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছি। যেখানে অভিনয়শিল্পীরা পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৩৫-৫০ ভাগ ছাড় পাবেন। শুধু তা-ই নয়, অভিনয়শিল্পীদের নিয়মিত পোশাক কিনতে হয়। এ জন্য বেশ কিছু ফ্যাশন হাউসের সঙ্গেও চুক্তি করা হয়েছে। যেখানে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে ছাড় পাবেন অভিনয়শিল্পীরা। এ ছাড়া আপত্কালীন নির্বাচিত ২০ জন অভিনয়শিল্পীকে প্রতি মাসে মেগাশপ স্বপ্ন থেকে ৫ হাজার টাকার বাজার পৌঁছে দিচ্ছি।’শহীদুল আলম সাচ্চু জানান, অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে পরিচয়পত্র বিতরণ ও অফিস নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা একটা বড় উদ্যোগ। নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী, এরই মধ্যে গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে সেটি এ বছরের সাধারণ সভায় পাস হয়েছে। সরকারি নিবন্ধনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজীবন সদস্য ও উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।এত এত সফলতার বিপরীতে কিছু ‘করতে না পারার’ কাজের কথাও শোনান শহীদুল আলম সাচ্চু। নাটক নির্মাণের আগে তিনটি সংগঠন-ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও অভিনয়শিল্পী সংঘ সদস্যদের মধ্যে যৌথভাবে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। কিন্তু সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেননি এখনো। চুক্তি স্বাক্ষর করে নাটক নির্মাণ করলে নানা ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়। তিনি মনে করছেন, এটা অনেকেই পালন করছেন, আবার অনেকেই করছেন না।২০১৭ সালের অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘তাদের কার্যক্রম নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ভালোই কাজ করছে। আমি মনে করি কমিটিতে বেশ কজন কাজের মানুষ আছেন। তবে যে জায়গাগুলোয় কাজ করা খুব জরুরি, সেটা এখনো শুরু করেনি। আবার যেটা পরে করলেও হয়, সেগুলো এখনই শুরু হয়ে গেছে।’আরও এক বছর কমিটির মেয়াদ আছে। নতুন কিছু প্রত্যাশা করেন কি না জানতে চাইলে শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘যতগুলো সংগঠন আছে তার মধ্যে অভিনয়শিল্পী সংঘ এক নম্বরে থাকুক, এটাই প্রত্যাশা করি। নাটক তৈরি ও নাটকে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে শিল্পীদের যে দাবি এবং অনিয়ম চলছে, সেগুলো সংগঠনটি দেখবে এবং ব্যবস্থা নেবে। এটাও আশা করি।’অভিনয়শিল্পী সংঘের এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে কথা হয় ২০১৭ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা ডি এ তায়েবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক বছরে আশানুরূপ কাজ হয়নি। যে গতিতে কমিটি কাজ করছে, তার চেয়ে বেশি গতি আশা করছি। তাদের কাছে অভিনয়শিল্পীদের প্রত্যাশা অনেক।’নতুন উদ্যোগ ‘সংযোগ’‘অভিনয় করলেই সবাই শিল্পী হন না। সাংবাদিকতা করলেও সবাই সাংবাদিক হন না।’ এ কথা বলেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম তাঁর প্রবন্ধে। গতকাল মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে আয়োজিত ‘অভিনয়শিল্পী ও বিনোদন সংবাদকর্মী সংযোগ’ নামে একটি মতবিনিময় সভায় তিনি প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন।টেলিভিশন অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, বিশেষ করে বিনোদন সাংবাদিকেরা। দুপুর ১২টার একটু আগে শুরু হয় এই সভা। চলে দুপুর অবধি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ড. ইনামুল হক, আফরোজা বানু, কে এস ফিরোজ, আহসাদুল হক মিনু, লুৎফর রহমান জর্জ, সংগঠনের সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিমসহ সংগঠনের নেতারা। সভায় বিনোদন সাংবাদিকেরা তাঁদের কাজের পরিবেশ ও অভিনয়শিল্পীরা সংবাদ পরিবেশন নিয়ে পরামর্শ ও পারস্পরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
359,282
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:২৬
১০ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:৩০
সরকার
0
খালেদা ‘প্রধান মহিলা রাজাকার’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/736348
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের ‘প্রধান মহিলা রাজাকার’ উপাধি দেওয়া যেতে পারে। খালেদা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের অমর্যাদা করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। এ জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালে খালেদা জিয়ার বিচার হওয়া দরকার। আজ রোববার সকালে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ মিলনায়তনে কলেজের বাৎসরিক সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী। ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মেহের আফরোজ আরও বলেন, খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাব পেয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খালেদা জিয়াকে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। -বিজ্ঞপ্তি
190,941
এএফপি
international
আন্তর্জাতিক
২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৫
২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০২:২০
পাকিস্তান
0
প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করব: নওয়াজ
http://www.prothom-alo.com/international/article/838228
পানামা পেপারসের কেলেঙ্কারিতে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নাম থাকার বিষয়টি একপ্রকার উড়িয়েই দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। গতকাল শুক্রবার জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘কর ফাঁকির অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারলে পদত্যাগ করে বাড়ি চলে যাব।’পানামা পেপারসকে পুঁজি করে একটা মহল দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন নওয়াজ। তিনি বলেন, ‘ইস্যুটি সামনে আসার পরপরই আমি জাতির আস্থা অটুট রাখতে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ব্যাপারে দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেব বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’পানামাভিত্তিক আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ১৫ লাখ নথি ফাঁস হয়। এসব নথিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং থেকে শুরু করে বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফসহ বিশ্বের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নাম উঠে আসে। ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কীভাবে কোন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তা বেরিয়ে আসে এসব নথিতে।ফাঁস হওয়া নথিতে নওয়াজের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনজন মরিয়ম, হাসান ও হোসেনের নাম এসেছে। নওয়াজের সন্তানেরা মোসাক ফনসেকার মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন অফশোর কোম্পানির মালিকানার অংশীদার।
222,932
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৩ জানুয়ারি ২০১৪, ১৪:৫৩
১৩ জানুয়ারি ২০১৪, ১৪:৫৫
খবরাখবর
null
অ্যাপলকে ছাড়িয়ে মাইক্রোসফট
http://www.prothom-alo.com/technology/article/122509
মার্কিন ভোক্তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে কয়েক প্রজন্ম ধরেই বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রেখেছে মাইক্রোসফট। সম্প্রতি মার্কিন এক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের করা জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বাসযোগ্যতার দিক থেকে অ্যাপলের চেয়ে মাইক্রোসফট এগিয়ে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট।বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টার যুক্তরাষ্ট্রের চার হাজার ৫৫১ জন প্রাপ্তবয়স্ক গ্রাহককে ব্র্যান্ড হিসেবে ভোক্তা সন্তুষ্টির বিষয়ে সত্য কথা বলার জন্য অনুরোধ করেছিল।ফরেস্টারের দাবি, তাদের গবেষণায় বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড নাম হিসেবে শীর্ষে উঠে এসেছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।ফরেস্টার তাদের গবেষণার ক্ষেত্রে চারটি মানদণ্ড বিবেচনায় রেখেছিল। এরমধ্যে ছিল বিশ্বাসযোগ্যতা, সুস্পষ্টতা, উল্লেখযোগ্যতা, প্রয়োজনীয়তার মানদণ্ড। চারটি মানদণ্ডের বিবেচনায় অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে মার্কিন ভোক্তাদের কাছে অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে মাইক্রোসফট।ফরেস্টার দাবি করেছে, ব্র্যান্ড তৈরির ক্ষেত্রে অনন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় মাইক্রোসফট একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিতে পেরেছে। মাইক্রোসফটকে বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের মর্যাদা দিলেও অ্যাপল ও স্যামসাংকে জরিপে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রায় দিয়েছেন ভোক্তারা।
43,207