title
stringlengths 10
148
| text
stringlengths 14
34.6k
| summary
stringlengths 1
7.08k
|
---|---|---|
সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা | মাত্র একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দামে এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো দাম হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল ঘোষণা দিয়ে ৭ এপ্রিল থেকে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। একদিনের ব্যবধানে এখন দাম বাড়ানোর মাধ্যমে আবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। যা সোমবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।
| মাত্র একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দামে এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো দাম হয়নি। |
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক | এক্সিম-পদ্মার পর এবার বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে দুর্দশাগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক। সিটি ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সিটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, সিটি ও বেসিক ব্যাংক একীভূত হচ্ছে স্বেচ্ছায়। এখানে কেউ কাউকে চাপিয়ে দিচ্ছে না। আমরা সবল ব্যাংক হিসেবে দেশসেরা। সে হিসেবে কোনো দুর্বল ব্যাংককে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা যায়। আমরাও সেটা খতিয়ে দেখছি।
তবে বেসিক ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললেও তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি। ব্যাংকটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভায় বেসিক ব্যাংকের কেউ ছিলেন কি না জানি না। আমরা বিষয়টি গণমাধ্যম থেকে শুনছি।
এর আগে গত ১৮ মার্চ একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়।
বেসিক-সিটি ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, একীভূত করা নিয়ে অনেক ব্যাংকের বিষয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত আলোচনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সবাইকে আসতে হবে। তবে এক্সিম ও পদ্মা ছাড়া এখনো কোনো ব্যাংককে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
| এক্সিম-পদ্মার পর এবার বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে দুর্দশাগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক। সিটি ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। |
বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি | নির্বাচনে জয় পাওয়ার প্রায় এক মাস পর দায়িত্ব বুঝে নিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নতুন সভাপতি এস এম মান্নান কচি।
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে শনিবার বিদায়ী সভাপতি ফারুক হাসানের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। তার নেতৃত্বে ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে সংগঠনটির পর্ষদ দায়িত্ব পালন করবে।
বিদায়ী সভাপতি ফারুক হাসান ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সভাপতির দায়িত্বে এসেছিলেন। সেই পর্ষদে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন কচি।
বিজিএমইএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদ নতুন বোর্ডের কাছে দায়িত্বর হস্তান্তর করে। সভায় ২০২২-২০২৩ সালের নিরীক্ষিত হিসাব গৃহীত হয় ও ২০২৩-২০২৪ সালের বাজেট অনুমোদন করা হয়।
গত ১০ মার্চে বিজিএমইএ’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন হয়। তাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৭০ জন।
তাদের মধ্যে ঢাকা থেকে নির্বাচিত হন ২৬ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন নয়জন। ৩৫টি পদের সবকটিতেই জয়ী হন এসএম মান্নান কচির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা।
সেহা ডিজাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কচি সর্বোচ্চ ১৫১০ ভোট পেয়ে পেয়ে নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নতুন মেয়াদে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবে খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আরশাদ জামাল দীপু, সহসভাপতি (অর্থ) নাসির উদ্দিন এবং অন্য তিনটি সহসভপাতি পদে মিরান আলী, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব এবং রকিবুল আলম চৌধুরী দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা থেকে পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে আছেন- শহিদউল্লাহ আজিম, আসিফ আশরাফ, ইমরানুর রহমান, শোভন ইসলাম, হারুন আর রশিদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, আশিকুর রহমান (তুহিন), আনোয়ার হোসেন (মানিক), মেসবাহ উদ্দিন খান, শামস মাহমুদ, রাজীব চৌধুরী, আবরার হোসেন সায়েম, শাহাদাত হোসেন, জাকির হোসেন, নুসরাত বারী আশা, মহিউদ্দিন রুবেল, শেহরিন সালাম ঐশী, নুরুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর এবং রেজাউল আলম (মিরু)।
চট্টগ্রাম থেকে পরিচালক হিসেবে রয়েছেন- মোহাম্মদ মুছা, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, এম আহসানুল হক, মোস্তফা সরোয়ার রিয়াদ, মোহাম্মদ রাকিব আল নাসের, গাজী মো. শহীদুল্লাহ এবং আবছার হোসেন।
| নির্বাচনে জয় পাওয়ার প্রায় এক মাস পর দায়িত্ব বুঝে নিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নতুন সভাপতি এস এম মান্নান কচি। |
বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি | গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এর ওপর ভর করেই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৬৭৯ কোটি টাকা।
এরপরও সাম্প্রতিক সময়ে যে দরপতন হয়েছে তাতে বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণ বেড়ে লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে এ লোকসান হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারির পর থেকে শেয়ারবাজারে পতন শুরু হয়। চলতি সপ্তাহের শুরুতেও এ পতনের ধারা অব্যাহত ছিল। তবে সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে ঊর্ধ্বমুখী হয় বাজার। দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইস দিয়ে শেয়ার দাম এক জায়গায় আটকে রাখার পর গত ১৮ জানুয়ারি ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা লাগে। এই ধাক্কা সামলে যখন শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে জেড গ্রুপ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যা শেয়ারবাজারের পতন ত্বরান্বিত করে।
কিসের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেড গ্রুপে যাবে, সে বিষয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ওই নির্দেশনার শেষ পয়েন্টে বলা হয়- ইস্যুয়ার কোম্পানির পরবর্তী লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা অথবা বার্ষিক/অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার দিন থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন নির্দেশনা থাকলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে হুট করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২২ কোম্পানিকে জেড গ্রুপে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঘোষণা আসে নতুন করে আর কোনো কোম্পানিকে জেড গ্রুপে নেয়া হবে না, কিন্তু পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকটি কোম্পানিকে জেড গ্রুপে নিয়ে যাওয়ায় হয়। এভাবে কিছু কোম্পানিকে জেড গ্রুপে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই শেয়ারবাজার দরপতনের মধ্যে পড়ে।
গত ১৭ জানুয়ারি ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। ধারাবাহিকভাবে কমে সেই গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার সেই বাজার মূলধন কমে দাঁড়ায় ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিএসই’র বাজার মূলধন হারায় ১ লাখ ৯ হাজার ২২০ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহের শেষদিকে বাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরায় বাজার মূলধন বেড়েছে ৬৭৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারির সঙ্গে তুলনা করলে ডিএসইর বাজার মূলধন এখনো ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে কম রয়েছে। বাজার মূলধন কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ কমেছে। অন্যভাবে বলা যায় ওই পরিমাণ অর্থ ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এতে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৮টির। আর ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ কোটি টাকায়। যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬৭৯ কোটি টাকা।
এদিকে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৬৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৪৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আর ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ১১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেনের গতি কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। দৈনিক গড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ২০ কোটি ১১ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- মালেক স্পিনিং, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, লাভেলো আইসক্রিম, এমারেল্ড অয়েল, ফু-ওয়াং সিরামিক, গোল্ডেন সন এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
| গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এর ওপর ভর করেই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৬৭৯ কোটি টাকা। |
নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি | পুরনো ঋণ পরিশোধের জন্য সরকার নতুন করে ঋণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের ঋণ ও ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে। সরকারের অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায় ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে। কোভিড বা ইউক্রেন যুদ্ধ নয়, ভিন্ন কারণে সরকারের ঋণ নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
গতকাল ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ঢাকার লেকশোর হোটেলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রুত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বর্তমানে বিদেশি ঋণ-জিডিপি অনুপাত ২১ দশমিক ৬ শতাংশ তুলনামূলকভাবে বেশি নয়। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে সিপিডি জানিয়েছে, ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, অন্যদিকে রেয়াতি ও বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরও কঠোর হচ্ছে। বিশেষত জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতার দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
সিপিডির ঢাকায় বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে ঋণের বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। দায় পরিশোধের পরিসংখ্যান, সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন ধরনের ফলাফলের কারণে বিষয়গুলো এসেছে। নীতি নির্ধারকদের অস্বীকারের মনোভাব সর্বদা দেখি, সেটি আরও প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নীতি নির্ধারকেরা প্রায়ই বলেন, অর্থনীতিবিদেরা ঠিকমত বিশ্লেষণ করতে পারেন না, ভবিষ্যতও বলতে পারেন না। উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা পেশাদার অর্থনীতিবিদদের নিয়ে প্রায়শই শ্লেষাত্মক ও ব্যাঙ্গাত্মক কথা বলেন। আজ থেকে দুই বছর আগে সিপিডিতে বসেই আমি বলেছিলাম, ২০২৪ সাল আমাদের জন্য কঠিন হবে। সেখানে দায়-দেনা পরিশোধে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। ২০২৫ সাল থেকে ঋণ পরিশোধে অস্বস্তি শুরু হবে। ২০২৬ সালে এটা আরও বাড়বে। ঋণের হিসাবে গাফিলতি আছে। এ হিসাবে এখনো অনেক কিছু বিবেচনায় নেয়া হয়নি।’
বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রসঙ্গে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘যদি ১০০ শতাংশ ঋণ নিয়ে থাকে তার ৮০ শতাংশ সরকারের আর ২০ শতাংশ ব্যক্তি খাতের। ব্যক্তি খাতের ঋণের অবস্থা কী, কেউ কি বলতে পারবেন। এ টাকা কেউ কেউ বিদেশে নিয়ে গেছেন। কেউ ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করেছেন। এ হিসাবটা কম গুরুত্বপূর্ণ না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার তো দেশের ভেতরেও ঋণ নিচ্ছে। সেই ঋণের পরিমাণ কত? যে ঋণ আমরা বিদেশ থেকে নিই, তার দ্বিগুণ আমরা দেশ থেকে নিই। সরকারের এখন যে ঋণের পরিমাণ তার দুই-তৃতীয়াংশ অভ্যন্তরীণ ঋণ, সেটিই বড় বিষয়। সরকারের দায়-দেনা পরিস্থিতি বুঝতে হলে বৈদেশিক ঋণের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণও দেখতে হবে। বৈদেশিক ঋণের কারণে মাথাপিছু দায়-দেনা যদি ৩১০ ডলার হয়, অভ্যন্তরীণ ঋণ যোগ করলে সেটা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৮৫০ ডলার।’
আমাদের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ পরিশোধের ক্যাপাসিটি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, রেভিনিউ বাজেট থেকে উন্নয়ন প্রকল্পকে অর্থায়ন করতে একটা পয়সাও দিতে পারে না। আমরা প্রতারণামূলক বাস্তবতা বা ইউলিসিভ রিয়েলিটিতে আছি।’
অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কা স্বল্প মেয়াদি ঋণের ফাঁদে পড়েছিল, বাংলাদেশেও এমন ঋণ বাড়ছে বলে জানান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, ‘দেশের মেগা অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বিদেশি ঋণে করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে প্রয়োজনের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি ব্যয় হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা স্বল্পকালীন ঋণের ফাঁদে পড়েছিল। রপ্তানি কমে আসায় এসব ঋণ যথাযথভাবে পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি। আফ্রিকার কিছু দেশেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ তেমন অবস্থানে নেই। কিন্তু দেশে স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে।’
| পুরনো ঋণ পরিশোধের জন্য সরকার নতুন করে ঋণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের ঋণ ও ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে। সরকারের অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায় ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে। কোভিড বা ইউক্রেন যুদ্ধ নয়, ভিন্ন কারণে সরকারের ঋণ নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। |
ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি | একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন। এ ছাড়া একীভূত হওয়া দুই ব্যাংকের মধ্যে খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকের পরিচালক আগামী ৫ বছর অন্য কোনো ব্যাংকে পরিচালক হতে পারবেন না।
এরকম বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করে গতকাল ব্যাংক একীভূতকরণ নীতমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে চারটি সংযুক্তি দেয়া হয়েছে।
নীতিমালার আলোকে, খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূতকরণ করা হবে। একীভূতকরণের আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর বিস্তারিত পরিকল্পনা বিশেষ করে আমানতকারী, সব পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে সর্বশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যেসব ব্যাংক নিজ থেকে একীভূত হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন নীতি সহায়তা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে সিআরআর, এসএলআর সংরক্ষণে ছাড় দেয়া হতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সাধারণভাবে একটি ব্যাংকের ৪ শতাংশ হারে নগদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখতে হয়। এখন ৫০ হাজার কোটি টাকার একটি ব্যাংকের হয়তো ১ শতাংশ সিআরআর ছাড় দেয়া হলো। এতে ওই ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা ছাড় পেল। এ পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে ব্যাংকটি ভালো করতে পারবে। এদিকে নীতিমালা জারির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন এবং মধ্যস্থতায় একটি ব্যাংক অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে পারে। সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ ক্ষমতার আলোকে গত ৫ ডিসেম্বর পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক শীর্ষক সার্কুলার জারি করা হয়।
ওই সার্কুলার অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, উচ্চ মাত্রার খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং সর্বোপরি আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে আমানতকারীদের স্বার্থে ব্যাংকের বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ করা হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এই নীতিমালা জারি করা হলো।
| একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন। এ ছাড়া একীভূত হওয়া দুই ব্যাংকের মধ্যে খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকের পরিচালক আগামী ৫ বছর অন্য কোনো ব্যাংকে পরিচালক হতে পারবেন না। |
রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক একীভূত হয়ে হবে দুই | এবার সরকারি খাতের চারটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সরকারি অন্য দুই ব্যাংক — সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী সোমবার চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক বৈঠকে ৩ এপ্রিল বুধবার এ সিন্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে ব্যাংক চারটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অংশ নেন। এছাড়া সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ব্যাংক চারটিকে জানানো হয়, শীঘ্রই ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা দেবে। এরপরই নীতিমালা মেনে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় একীভূত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে নীতিমালা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ বুধবার চার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে ডেকে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য আগে থেকে কোনো চিঠি দেয়া হয়নি, এমনকি আলোচনার বিষয়বস্তুও বলা হয়নি। একটি সভায় সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের চেয়ারম্যান-এমডিকে জানানো হয়, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিডিবিএল ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। আরেকটি সভায় বিকেবি ও রাকাবকে একই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
একীভূতকরণ শেষ হলে রাকাব ও বিডিবিএলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। চারটি ব্যাংকেরই মালিকানা সরকারের হওয়ায় প্রক্রিয়াটি অপেক্ষাকৃত সহজ হবে বলে বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেহেতু সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারি ব্যাংককে একীভূত করা হবে, তাই রাকাব ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্মীদের চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
এর আগে গত ২৫ মার্চ বেসরকারি খাতের এ´ি ব্যাংকের সঙ্গে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
১৯৭২ সালে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ৯৩ হাজার ৯৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এটা মোট ঋণের ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। ডেফারেল সুবিধার কারণে কোনো মূলধন ঘাটতি নেই।
বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক (বিএসবি) ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা (বিএসআরএস) একীভূত হয়ে ২০১০ সালে বিডিবিএল ব্যাংক নামে যাত্রা শুরু করে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের ৪২ শতাংশই ছিল খেলাপি। ওই সময় পর্যন্ত বিডিবিএলের ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ৯৮২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৯৭৩ সালে কার্যক্রম শুরু করে। আর ১৯৮৬ সালে উত্তরাঞ্চলের কৃষি ব্যাংকের শাখাগুলো নিয়ে গঠন করা হয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। এখন আবার দুটি ব্যাংককে এক করে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বিতরণ করা ৩১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতে আর কোনো ব্যাংকের এত ঘাটতি নেই। ব্যাংকটির খেলাপির হার ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর মূলধন ঘাটতি ১৩ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ভেঙেই ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। কৃষি ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগের শাখাগুলো নিয়েই ব্যাংকটির যাত্রা। এরই মধ্যে সরকার রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা নিয়ে রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছে। এ কারণে বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যাংক দুটিকে একীভূত করে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। কৃষি ব্যাংকের মতোই ২০১০ সাল-পরবর্তী সময়ে রাকাবও লুণ্ঠনের শিকার হয়েছে। প্রভাবশালী কিছু গ্রাহককে কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণসহ বড় ঋণ দিয়ে বিপদ বাড়িয়েছে ব্যাংকটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিকেবির পরিশোধিত মূলধন ৯০০ কোটি টাকা। যদিও গত বছর পর্যন্ত ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষায়িত ব্যাংকটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ঠেকেছে ১৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকায়। ব্যাংকের ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৩৭ শতাংশ ঋণখেলাপি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো ব্যাংক নিজ থেকে এক হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরপর আগামী বছরের মার্চ থেকে খারাপ ব্যাংক জোরপূর্বক ভালো ব্যাংকের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া হবে। একীভূতকরণের আগে দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করার জন্য চারটি সূচকের ভিত্তিতে একটি পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের উচ্চ খেলাপি ঋণ কমানো, মূলধন পরিস্থিতির উন্নতি এবং ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা আনার ক্ষেত্রে আইএমএফের চাপ রয়েছে।
সরকারি ব্যাংকের মধ্যে অগ্রণীর সঙ্গে বেসিকের একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে। আর বেসকারি মন্দ ৭/৮টি ব্যাংকের অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা রয়েছে।
| এবার সরকারি খাতের চারটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সরকারি অন্য দুই ব্যাংক — সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী সোমবার চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। |
এবার একীভূত হচ্ছে ‘সোনালীর সাথে বিডিবিএল’ ও ‘কৃষির সাথে রাকাব’ | এবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে এসব ব্যাংকের এমডিকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল ব্যাংক চারটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে আলাদা করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংক চারটিকে জানানো হয়, শিগগির ব্যাংক একীভূত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা দেবে। এরপরই নীতিমালা মেনে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় একীভূত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট চার ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ গতকাল চার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে ডেকে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য আগে থেকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি, এমনকি আলোচনার বিষয়বস্তুও বলা হয়নি। একটি সভায় সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের চেয়ারম্যান-এমডিকে জানানো হয়, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিডিবিএল ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। আরেকটি সভায় বিকেবি ও রাকাবকে একই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি গোপনে সম্পন্ন হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে সরকারি চার ব্যাংকের একীভূতকরণ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। পদ্মা ব্যাংকের পর সরকারি খাতের দুই ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারি দুর্বল দুই ব্যাংককে সরকারি মালিকানাধীন অপর দুটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
| এবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। |
শেয়ার প্রতি ১ পয়সা লভ্যাংশ দেবে একমি পেস্টিসাইড | শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১ পয়সা লভ্যাংশ দিবে।
বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ৩০, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একমি পেস্টিসাইড সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ৫২ পয়সা, যা আগের বছর ১ টাকা ৪৭ পয়সা ছিল।
আগামী ১০ জুন হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
| শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১ পয়সা লভ্যাংশ দিবে। |
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডের কর্মীদের জন্য মেটলাইফের বীমা সুরক্ষা | কর্মীদের বীমা সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে মেটলাইফের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড (ইডিসিএল)।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে, ইডিসিএল’র সাড়ে চার হাজার কর্মীর মৃত্যু ও অক্ষমতার (ডেথ অ্যান্ড ডিজেবিলিটি কাভারেজ) ক্ষেত্রে বীমাকাভারেজ প্রদান করবে মেটলাইফ। মেটলাইফের কাস্টমাইজড সল্যুশন, অনলাইন বীমা নিষ্পত্তি সেবা, বীমা দাবির দ্রুত পেমেন্ট ও আর্থিক সক্ষমতার কারণে নিজেদের কর্মীদের বীমা সেবা দেয়ার জন্য মেটলাইফকে নির্বাচন করেছে ইডিসিএল।
গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, খুলনা, টাঙ্গাইল ও বগুড়ায় স্থাপিত অত্যাধুনিক প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরিতে শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ইডিসিএল।
বাংলাদেশে মেটলাইফ ৯’শ৪০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৩০০,০০০-এরও বেশি কর্মী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের বীমা সেবা প্রদান করছে। ২০২৩ সালে মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা বীমা থেকে ২,৯৮১ কোটি টাকা পেয়েছেন।
এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির বলেন, “ইডিসিএল -এ আমরা বিশ্বাস করি কাজের ক্ষেত্রে নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী বোধ করার গুরুত্ব এবং তার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের সকল কর্মী মেটলাইফের এই সেবা থেকে উপকৃত হবেন বলেই আমার বিশ্বাস।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার জাফর সাদেক চৌধুরী বলেন, “জীবন বীমা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কর্মীদের চাহিদা মেটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার জাফর সাদেক চৌধুরী।
| কর্মীদের বীমা সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে মেটলাইফের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড (ইডিসিএল)। |
গাজীপুরে এক বছরে ট্রাফিক পুলিশের ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় | গাজীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ গত এক বছরে জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার ২শ ৯২টি মামলায় ৫ কোটি ১২ লাখ ২ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা হিসেবে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে। বুধবার (৩ মার্চ) গাজীপুর জেলা ট্রাফিক অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশ অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহণ আইন বাস্তবায়নে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন যানবাহনের ওপর ১০ হাজার ২শ ৯২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখ ২ হাজার ৭৫০টাকা। আর এসব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।
আরোও জানা যায়, গাড়ির ফিটনেস না থাকা, মোটরসাইকেলের হেলমেট না থাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন না থাকা, মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী বহন, রুট পারমিট না থাকা, ট্রাফিক সিগন্যাল ও বিধিনিষেধ অমান্য করা সহ নানা অনিয়মের মামলা থেকে এসব রাজস্ব এসেছে।
গাজীপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান (পিপিএম) দৈনিক সংবাদকে জানান, গাজীপুর জেলার চন্দ্রা, পল্লীবিদ্যুৎ, সফিপুর বাজার, মৌচাক আমবাগান ক্রসিং, মৌচাক বাসস্ট্যান্ড, সাহেব বাজার, মাওনা চৌরাস্তা, মাওনা হতে জৈনাবাজার, হোতাপাড়া, কালীগঞ্জ কাপাসিয়া মোড়, কাপাসিয়া বাজার পাবুর মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ির কাগজপত্র চেক করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন আইন ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গাজীপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মুহাম্মদ শাহাবউদ্দিন দৈনিক সংবাদকে জানান, গাজীপুর পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমের নির্দেশনায় সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ বাস্তবায়নে আমরা সড়কে কাজ করে চলেছি। সড়কে যেন সকলেই সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং হেলমেটবিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি যেন সড়কে চলতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করছি। এবং সড়কে চলাচলকারী যানবাহনসহ জনসাধারণদের সচেতন হওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
| গাজীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ গত এক বছরে জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার ২শ ৯২টি মামলায় ৫ কোটি ১২ লাখ ২ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা হিসেবে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে। বুধবার (৩ মার্চ) গাজীপুর জেলা ট্রাফিক অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। |
প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে: বিশ্বব্যাংক | ২০২৩ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ দেখিয়ে ছিল বিশ্বব্যাংক। তবে সংস্থাটি জানায় এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক শতাংশ হবে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নগরীর বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রনজিত ঘোষ, বার্নাড হ্যাভেন উপস্থিত ছিলেন।
সংস্থাটি জানায়, ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি বছরে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। সেই হিসেবে প্রবৃদ্ধি কমেছে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি বেশি অর্জন করবে ভারত, ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সব থেকে কম প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে পাকিস্তান মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
| ২০২৩ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ দেখিয়ে ছিল বিশ্বব্যাংক। তবে সংস্থাটি জানায় এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক শতাংশ হবে। |
সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা করল সাউথইস্ট ব্যাংক | সাউথইস্ট ব্যাংক বিশেষ সিএসআর ফান্ডের আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাষাবাদ ও এই সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা করেছে। সোমবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে আগত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো: ছাদেক হোসেন। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ এর মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের এই আর্থিক সহায়তা করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক। এই সময় আরডিআরএস বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক তপন কুমার কর্মকারসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
| সাউথইস্ট ব্যাংক বিশেষ সিএসআর ফান্ডের আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাষাবাদ ও এই সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা করেছে। সোমবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে আগত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো: ছাদেক হোসেন। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ এর মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের এই আর্থিক সহায়তা করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক। এই সময় আরডিআরএস বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক তপন কুমার কর্মকারসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। |
‘রোড টু বালুরঘাট’, মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের চিত্র প্রদর্শন | ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংস অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে কোটি কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় নওগাঁর অধিকাংশ মানুষ শরনার্থী হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরে আশ্রয়ে নেন। ওই সব শরণার্থীদের দুর্ভোগ-দুদর্শার চিত্র তুলে ধরতে ‘রোড টু বালুরঘাট’ নামে প্রতীকী পদযাত্রার আয়োজন করে নওগাঁর সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় শহরের তাজের মোড় থেকে এ প্রতীকী পদযাত্রা শুরু হয়। প্রতীকী পদযাত্রাটি শহরের ব্রিজের মোড়, বই পট্টি হয়ে শহরের পুরাতন কালেক্টরেট চত্বর মাঠে গিয়ে শেষ হয়। একুশে পরিষদ নওগাঁর সদস্যসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ পদযাত্রায় অংশ নিয়ে একাত্তরে ভারতে শরণার্থী হিসেবে গমনকারী বাঙালিদের দুঃখ-দুদর্শার চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।
সংগঠনটির সভাপতি এ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারী জানান- ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার, নিপীড়ন, গণহত্যা থেকে বাচঁতে যুদ্ধের শুরু থেকে এপ্রিল মাসের প্রথমভাগে পায়ে হেঁটে নওগাঁর সড়ক হয়ে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের বালুরঘাটে আশ্রয় নেয়। সেসময় চলার পথে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ দুর্দশার স্মরণ করতে এবং সেসব চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এমন আয়োজন।
| ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংস অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে কোটি কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় নওগাঁর অধিকাংশ মানুষ শরনার্থী হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরে আশ্রয়ে নেন। ওই সব শরণার্থীদের দুর্ভোগ-দুদর্শার চিত্র তুলে ধরতে ‘রোড টু বালুরঘাট’ নামে প্রতীকী পদযাত্রার আয়োজন করে নওগাঁর সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ। |
পাবলিশহার এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের মিতিয়া ওসমান | পুস্তক প্রকাশনা পেশায় যুক্ত সারা দুনিয়ার নারীদের প্লাটফর্ম পাবলিশহার প্রবর্তিত পাবলিশহার এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডে’র সেরা ইমার্জিংলিডার’ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের ময়ূরপঙ্খির প্রকাশক এবং আগামী প্রকাশনীর নির্বাহী পরিচালক মিতিয়া ওসমান।
সম্প্রতি ইতালির বোলোনিয়ায় আন্তর্জাতিক শিশুতোষ বইমেলার ৬১তম আসরে মিতিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন পাবলিশহারের প্রতিষ্ঠাতা, ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট বদুর আলকাসিমি।
অনন্য নেতৃত্ব, সুদূর প্রসারী চিন্তা ও ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার সক্ষমতার বিবেচনায় সারাবিশ্বের প্রকাশনা জগতের উদীয়মান তারকাদের মধ্য থেকে সর্বসম্মতি ক্রমে মিতিয়াকে বেছে নেন নির্বাচক মন্ডলি।
ইমার্জিং লিডার শাখার বাছাইকৃত সংক্ষিপ্ত তালিকায় মিতিয়া ছাড়া আরো ছিলেন ব্রাজিলের ‘শিপাবলিশেস পডকাস্টে’র প্রতিষ্ঠাতাও সম্পাদক ফেরনান্দা বালেজিনি ফেরেইরা এবং যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ফ্লিপে’র সহ-পরিচালক ও ‘কলিন্সে’র বিপণন নির্বাহী ক্যাসির কস।
| পুস্তক প্রকাশনা পেশায় যুক্ত সারা দুনিয়ার নারীদের প্লাটফর্ম পাবলিশহার প্রবর্তিত পাবলিশহার এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডে’র সেরা ইমার্জিংলিডার’ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের ময়ূরপঙ্খির প্রকাশক এবং আগামী প্রকাশনীর নির্বাহী পরিচালক মিতিয়া ওসমান। |
চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে বর্ষ বরন সম্পন্ন | বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বছরের এ দিনটিকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের যেন শেষ ছিল না।এদিন নানা আয়োজনে চট্টগ্রামে বর্ষবরণ করা হয়। নতুন বছরকে বরণ করতে এবছরও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটিস্থানে করা হয় নানা আয়োজন।
সকাল ৭টার দিকে নগরীর ডিসি হিলে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ-এর উদ্যোগে নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
দুপুরে নামাজের বিরতি দিয়ে বিকেল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এ আয়োজন। এছাড়া একই সময়ে নগরীর সিআরবি’র শিরীষ তলায় চট্টগ্রাম নববর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শুরু হয় বর্ষ বরণের অনুষ্ঠান। যা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এর বাইরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মত নগরীর এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ মাঠে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে নগরীর বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে নানা আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা ও গ্রামবাংলার বিভিন্ন খেলাধুলার। তাছাড়া নগরীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
এদিকে, বর্ষ বরন অনুষ্ঠানকে নিরাপদ ও শান্তপূর্ণ রাখতে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। প্রতিটি ভেন্যুতে সার্বক্ষণিক টিম ও মোবাইল টিম, ফুট পেট্রোল, চেকপোস্ট, সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিবি টিম, মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার সম্মুখ, মধ্য ও শেষ- তিনভাগে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।
| বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বছরের এ দিনটিকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের যেন শেষ ছিল না।এদিন নানা আয়োজনে চট্টগ্রামে বর্ষবরণ করা হয়। নতুন বছরকে বরণ করতে এবছরও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটিস্থানে করা হয় নানা আয়োজন। |
বনাঢ্য নানান আয়োজনে বিভাগীয় নগরী রংপুরে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ | মঙ্গল শোভাযাত্রা বনাঢ্য নানান আয়োজনে বিভাগীয় নগরী রংপুরে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ।
সকাল সাড়ে ৯ টায় রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখের কর্মসূচি শুরু হয়। এর পর এসো হে বেশাখ সহ বিভিন্ন বৈখাশী গান পরিবেশন করে সন্মিলিত সাস্কৃতিক জোট। এর পরেই বনাঢ়্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। নানান বাহাড়ি ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে নারী পুরুষ শিশুরা নেরেচ গেয়েনগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।
এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে জিলা স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বনাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোএসন ,রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডিআেইজি আব্দুল বাতেন , জেলা প্রশাসক মোবকাশে^র হোসান পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলমচৌধুরী সহ সকল স্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
ঐতিহ্যবাহি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রং বেরং এর পোশাক পড়ে নারী শিশু সহ সব বয়সের মানুষ অনুষ্ঠান গুলোতে অংশ নেয়।
| মঙ্গল শোভাযাত্রা বনাঢ্য নানান আয়োজনে বিভাগীয় নগরী রংপুরে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। |
আজ চৈত্র সংক্রান্তি | আজ শনিবার চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন। বাংলা বছরের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। এছাড়াও আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১।
আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।চৈত্রসংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।
এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।
চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে আগামীকাল রবিবার (১৪ এপ্রিল) সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর। পুরনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে রবিবার বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সব কিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।
| আজ শনিবার চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন। বাংলা বছরের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। এছাড়াও আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১। |
বর্ষবরণে সময়ের বিধি-নিষেধ মানবে না সাংস্কৃতিক জোট | বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হওয়া পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কেন সময়ের বিধি নিষেধ, সেই প্রশ্ন তুলেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। ওই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে পহেলা বৈশাখে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যেসব স্থানে খোলা জায়গায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হবে, সেগুলো সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করাসহ ভুভুজেলা বাজানো ও বিক্রি থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৯ মার্চ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আহকামউল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে নববর্ষের অনুষ্ঠানে সময়ের ওই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সেই দাবি মেনে না নেয়ায় এবার সাংস্কৃতিক জোট নিষেধাজ্ঞা ভেঙে অনুষ্ঠান করার ঘোষণা দিল।
জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘বাংলা নববর্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। আগামী ১ বৈশাখ ১৪৩১ বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
‘রাত ৯টা পর্যন্ত আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে দলীয় সংগীত, দলীয় আবৃত্তি, নৃত্য, নাটক, একক সংগীত ও একক আবৃত্তি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকবে বিশিষ্ট বাউল শিল্পীদের পরিবেশনা।’ নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘বাঙালির প্রাণের উৎসব পালনে আমাদের কেন এই নিয়মের বেড়াজাল মানতে হবে? আমরা অনুষ্ঠান আয়োজন করব।’
সময় বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গত ২৯ মার্চ দেয়া বিবৃতিতে সাংস্কৃতিক জোট বলেছিল, ‘বাঙালির সবচাইতে বড় সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসব হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। শত শত বছর ধরে গ্রামবাংলার বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়ে আসছে। নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে নগরে-শহরেও এ উৎসব সম্প্রসারিত হয়েছে। সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে থাকে। সেখানে বলা হয়, ‘বাঙালির সবচাইতে বড় সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসব হচ্ছে বাংলা নববর্ষ।
‘বৈশাখী উৎসব এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের নির্দেশনা থাকলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হচ্ছে। সব জাতীয় দিবস এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও শুধুমাত্র বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ আয়োজনকে সীমিত করে দেয়া কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা মনে করি, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাঙালি সংস্কৃতি-বিরোধী শক্তি উল্লসিত হবে।’
| চারুকলায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি-সংবাদ |
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার গুণীজন সংবর্ধনা | স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে ৫জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাসুদুর রহমান দীপুর ব্যবস্থাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রনালয়ে অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ ফরিদ। অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেয়া হয় সাংবাদিকতায় জি এম মাসুদ ঢালী ও রফিকুর রহমান, সাহিত্যে ইসহাক খান ও সাহিদা ইসলাম এবং সমাজসেবায় লায়ন মো.নূর ইসলামকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা কৃতিত্বপূর্ন অবদান রাখছেন তাদের জীবদ্দশায়ই সন্মান জানানো উচিত। মৃত্যুর পর তাদের তাদের গুন নিয়ে আলোচনা করে কোন সার্থকতা নেই। তারা বলেন, সমাজে গুনীজনরা সন্মান না পেলে সে সমাজে ভবিষ্যতে গুনীজন তৈরি হয়না।
| স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে ৫জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাসুদুর রহমান দীপুর ব্যবস্থাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রনালয়ে অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ ফরিদ। অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেয়া হয় সাংবাদিকতায় জি এম মাসুদ ঢালী ও রফিকুর রহমান, সাহিত্যে ইসহাক খান ও সাহিদা ইসলাম এবং সমাজসেবায় লায়ন মো.নূর ইসলামকে। |
স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে হবে : ড. কামাল চৌধুরী | প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বাংলা একাডেমি পরিদর্শন করেছেন। গতকাল ২৭ মার্চ বুধবার বেলা ২টায় তারা বাংলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ পরিদর্শন করেন এবং তাদের কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।
এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা একাডেমিতে তাদের স্বাগত জানান।
পরিদর্শন শেষে শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে একাডেমির মহাপরিচালক, সচিব, পরিচালক ও উপপরিচালকবৃন্দের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠক করেন ড. কামাল এবং নাহিদ ইজাহার। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় একই সভাকক্ষে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. কামাল বাংলা একাডেমির কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড-কে কেন্দ্রীভূত না করে তা সারাদেশের তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়া, বাংলা একাডেমির সব ধরনের প্রকাশনাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তা স্কুল, কলেজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা, বাংলা একাডেমির শূন্য পদে নিয়োগ, অমর একুশে বইমেলার আয়োজনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের নির্বাচন নিয়েও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে হবে। বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ আমরা বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারি, এজন্য বাংলা একাডেমিতে যোগদানকারীদের প্রশিক্ষণ দরকার, সম্পাদনার ক্ষেত্রে গবেষণার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প-সাহিত্যের নিরিখে যে-সব লেখার ভালো মান থাকবে সেগুলোকে অনুবাদ করতে হবে কাঙ্ক্ষিত ভাষায়। আমাদের সাহিত্যের পাশাপাশি বাহিরের সাহিত্য অনুবাদ করতে হবে।’
সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন প্রসঙ্গ আনলে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন নিয়মিত হওয়া দরকার আছে। আমাদের এমন প্রস্তাবও আছে।’
সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানোর প্রসঙ্গ আসলে তিনি বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু নীতিমালা থাকে। বাজেট খরচ করতেও জানতে হবে, যৌক্তিক বাজেট পেশ করতে হবে। বাজেট কি ভাবে বাড়ানো যায় আমরা সে বিষয়ে দেখছি। আমরা দেশের প্রত্যেকটা অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
একুশে বই মেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে আসলে তিনি বলেন,‘আমরা ভেবে দেখবো বইমেলায় আরও আর্থিক সহায়তা কীভাবে বাড়ানো যায়’।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান তার বক্তব্যে উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো প্রসঙ্গ এনে সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভার শেষে প্রান্তে বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক তার বক্তব্যে সাধারণ পরিষদের নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানান, আগামী ডিসেম্বরের আগে নির্বাচিত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন তিনি।
| প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বাংলা একাডেমি পরিদর্শন করেছেন। গতকাল ২৭ মার্চ বুধবার বেলা ২টায় তারা বাংলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ পরিদর্শন করেন এবং তাদের কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন। |
এলাকাবাসীর সঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ | ইফতার সামগ্রীতে মানহীন খাবার দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন সারেং হোটেল থেকে কেনা ইফতার সামগ্রীতে পচা ও সিদ্ধ বেগুনি পাওয়ায় অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী একত্রিত হয়। এ সময় পাল্টা আক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হোটেলটির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনায় দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, রাস্তায় লাঠি হাতে শোডাউন ও ইট ছোড়াছুড়ি চলে দীর্ঘক্ষণ।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলের রাস্তার পাশের কক্ষগুলোতে পাথর ছুড়ে মারেন এলাকাবাসী। এতে কয়েকটি কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ছাড়াও ২ নম্বর গেট ও বটতলা সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের মেসগুলোতে হামলা চালায় এলাকাবাসী। এরপর আরও উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরাও হামলা চালায় ও সারেং হোটেলে ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে ত্রিশাল থানা পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্যান্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এখন স্বাভাবিক আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ও স্থানীয় পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
| ইফতার সামগ্রীতে মানহীন খাবার দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। |
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের নতুন কমিটি, ড. সনজীদা খাতুন সভাপতি, ড. আতিউর রহমান নির্বাহী সভাপতি,লিলি ইসলাম সাধারণ সম্পাদক | জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ৪২তম বার্ষিক অধিবেশনের সমাপ্তি দিনে ড. সনজীদা খাতুন সভাপতি, ড. আতিউর রহমান নির্বাহী সভাপতি এবং লিলি ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সমাপণী দিনের অনুষ্ঠানমালা আজ রোববার সকাল ১০.৩০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল ১০টায় নির্বাহী সভাপতি ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিগণ নিজ নিজ শাখার রিপোর্ট পেশ করেন। প্রতিনিধি সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে ড. সনজীদা খাতুনকে সভাপতি, ড. আতিউর রহমানকে নির্বাহী সভাপতি, লিলি ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক এবং নাসেহুন আমীনকে কোষাধ্যক্ষ করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
বিকাল ৪টায় সমাপণী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। গুণী সম্মাননা প্রদান করা হয় শিল্পগুরু মুস্তাফা মনোয়ারকে। তাঁর পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন পুত্রবধু নাসরিন মনোয়ার।
অনুষ্ঠানে কিশোর ও সাধারণ বিভাগের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মানপ্রাপ্তদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সমাপণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ড. আতিউর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সন্ধ্যা ৬টায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সান্ধ্যকালীন অধিবেশন শুরু হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, মনসুরা বেগম, রোকাইয়া হাসিনা, অসীম দত্ত, মহিউজ্জামান চৌধুরী, হেনরী তালুকদার, রানা সিনহা, বুলবুল ইসলাম, এটিএম জাহাঙ্গীর, তানিয়া মান্নান, সিরাজুস সালেকীন, লাইসা আহমদ লিসা, নূরজাহান বেগম শ্যামলিনা, লিলি ইসলাম। তিন কবির গানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঝুমা খন্দকার, সুমা রাণী রায়, শীবেশ কীর্তনীয়া, মামুন জাহিদ খান, আজিজুর রহমান তুহিন, শারমিন সাথী ইসলাম। আবৃত্তি পরিবেশন করে ডালিয়া আহমেদ।
| জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ৪২তম বার্ষিক অধিবেশনের সমাপ্তি দিনে ড. সনজীদা খাতুন সভাপতি, ড. আতিউর রহমান নির্বাহী সভাপতি এবং লিলি ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। |
এবার বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি | একুশে বইমেলায় এবার ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি। গতকাল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় আয়োজক সংস্থাটি। এবার ২৯ দিনের ফেব্রুয়ারি শেষে মেলা ছিল আরো দুদিন। ৩১ দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৭৫১টি।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘এবার ছিল অধিবর্ষের বইমেলা। নির্ধারিত ২৯ দিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় অতিরিক্ত দুদিন যুক্ত হয়ে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলার আজ (গতকাল) শেষ দিন। ২০২৪-এর বইমেলা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ছিল বিস্তৃত, ব্যাপক ও বর্ণাঢ্য। শীতে শুরু হয়ে বইমেলা স্পর্শ করেছে বসন্ত-বাতাস। একুশের রক্তপলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্চের চেতনার রঙ।’
‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য সচিব ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলামের লিখিত প্রতিবেদন তার পক্ষে পাঠ করেন একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ। এতে বলা হয়, ‘মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবারের বইমেলায় (১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত) প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এ বইমেলায় বাংলা একাডেমি ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা আজ বাঙালির ভাষা, শিল্প-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বইমেলার মাধ্যমে প্রতি বছর আমরা আমাদের সৃজনশীলতাকে উদযাপন করি। এ মেলা আমাদের আবেগের, জাতিসত্তার, ভাষা-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার মেলা।’
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি নবনিযুক্ত সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এ মেলা দেখতে দেখতে চার দশক অতিক্রম করে এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববাঙালির কাছে যেমন ঠিক তেমনি বিশ্বের জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছেও একুশের বইমেলা এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত।’
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিপুল বিকাশের পরও মুদ্রিত বইয়ের আবেদন যে কোনোমতেই ফুরিয়ে যায়নি তার প্রমাণ একুশে বইমেলায় ক্রমবর্ধমান জনসমাগম।’
| একুশে বইমেলায় এবার ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি। গতকাল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় আয়োজক সংস্থাটি। এবার ২৯ দিনের ফেব্রুয়ারি শেষে মেলা ছিল আরো দুদিন। ৩১ দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৭৫১টি। |
আজ শেষ হচ্ছে মহান একুশের বইমেলা, বিক্রি বেড়েছে শেষ মুহুর্তে | অনেক আশা জাগিয়ে আজ শেষ হচ্ছে মাহন একুশের ঐতিয্যবাহী বইমেলা। হিসাব অনুযায়ী বইমেলার শেষ দিন হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু মেলার সময় বেড়েছে আরো দুইদিন - শুক্রবার ও শনিবার পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সময়সীমা দুদিন বাড়ানো হয়েছে। তাই যেন ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ আমেজ।
গতকালই বিদয়ের চ’ড়ান্ত বাশী বেহে গেছে –এমন একটা ভাব ছিল সবার মধ্যে। তবে আগের বছরগুলোতে যা হয়, শেষ সময়ে এসে অনেকে বই কিনেন। এবারও তাই হচ্ছে। গতকাল ছিল বইমেলার বর্ধিত সময়ের প্রথম দিন। শেষ সময়ে অনেকেই মেলা ঘুরে দেখছেন যারা এতদিন আসতে পারেননি নানা কাজে জড়িয়ে পড়ায়। আজ শনিবারও মেলায় থাকবে জনস্রোত। আজ বইমেলার ৩১তম দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
গতকাল মেলায় আসা কয়েকজন পাঠক বলেন, বইমেলার সময় বাড়ানোর কারণে অনেকেই অনেকটা স্বচ্ছন্দে মেলা ঘুরে দেখতে পারছেন। গতকাল শুক্রবার মেলায় ভালোই বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার মেলার শেষ দিনে ভরপুর পাঠক আর ক্রেতায়- এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সবাই। বিক্রিও খুব ভালো হবে বলে আশা করছেন প্রকাশকরা।
গতকাল একুশে বইমেলায় অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নে কবি কামাল চৌধুরীর নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘প্রতিপৃষ্ঠা নদীর জীবন’-এর মোড়ক উন্মোচিত হয়। এবারের বইমেলায় গীতিকবি রশিদা আক্তারের চারটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়। এসেছে সাংবাদিক ও লেখক জান্নাতুল বাকেয়া কেকার ‘ভাষা আন্দোলনের সাত দশক : জানা অজানা’ বইটি।
আজ শনিবার অমর একুশে বইমেলার সমাপনী দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ভাষণ দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে।
| অনেক আশা জাগিয়ে আজ শেষ হচ্ছে মাহন একুশের ঐতিয্যবাহী বইমেলা। হিসাব অনুযায়ী বইমেলার শেষ দিন হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু মেলার সময় বেড়েছে আরো দুইদিন - শুক্রবার ও শনিবার পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সময়সীমা দুদিন বাড়ানো হয়েছে। তাই যেন ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ আমেজ। |
আগামী বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার জায়গা বরাদ্দ নাওদিতে পারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় | বাড়তি দুইদিন সময় পেয়ে বইমেলা সংশ্লিষ্টরা যতোটা উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, বইমেলার স্থান পরিবর্তন হতে পারে এ খবরে তারচেয়ে বেশী যেন মর্মাহত হয়েছেন।
জানা গেছে, আগামী বছর বইমেলার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জায়গা আর বরাদ্দ দেবে না বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বই, বইমেলা সংশ্লিষ্টরা এমনটাই আলোচনা করছেন।
শোনা যাচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে পূর্বাচলে নিয়ে যাওয়া হবেবইমেলা। যদিও মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ঘোষণা আসে নি। চূড়ান্ত করে কিছু জানানো হয়নি। মেলা প্রাঙ্গনে এই গুঞ্জন অনেকের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি করেছে।
মেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড তৈরির অংশ হিসেবে কিছু প্রকল্পের কাজ মার্চ মাস থেকে শুরু করতে চাইছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
তারা বলেন, ‘সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে নান্দনিকতা বৃদ্ধিসহ অনেক ধরনের প্রকল্পের কাজ চলছে। তার বাস্তবায়ন শুরু হলে, ওই জায়গাটি আগামী বছর হয়ত আর ব্যবহার করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আগামী বছর মেলা এখান থেকে সরিয়ে নেয়া হতে পারে।
প্রাথমিকভাবেএমনসিদ্ধান্ত জানিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়’।
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘যদি আগামী বছরসোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি না পাওয়া যায়, তখন মেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন।
‘তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই, বইমেলা বাংলা একাডেমিতেই থাকুক। কারণ এই বইমেলার সঙ্গে একুশের চেতনা, শহীদ মিনার এবং বাংলা একাডেমি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই বইমেলার স্থানিক দূরত্ব কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল জানিয়েছেন, ‘এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া একদমই ঠিক হবে না। বইমেলা বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হতে হবে। পূর্বাচলে হলে আমাদের প্রকাশকদের কেউই অংশগ্রহণ করবে না’।
বইমেলা অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হবে শুনেই অবাক হয়ে লেখকও প্রকাশক রোকসানা রহমান বলেন, ‘ত্রিশ বছরের ওপর এই মেলার সাথে যুক্ত আছি। প্রতিবছর অপেক্ষা থাকে বইমেলার জন্য। সেই বইমেলা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে এটা মানতেই পারছি না’।
তিনি আরো বলেন, ‘বইমেলা আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করে। এই মেলায় কে আসে না-৫ বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ। এই মেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলাকে নিয়ে এ ধরণের সিদ্ধান্ত হবে হঠকারী সিদ্ধান্ত’।
লিটল ম্যাগ চত্ত্বরে রোকসানা রহমানের স্টলে বই দেখছিলেন শাহানাজ বেগম সুমি। তিনি বিস্ময়ের সাথে বলেন,‘এটা তো শুনে ভালো লাগলো না। এই একটা মাস আমরা বাচ্চাদের নিয়ে আসি। বই কিনি বা না কিনি বইয়ের সংস্পর্শে থাকি। ছেলে মেয়েরা আড্ডা দেয়, বইকে ঘিরে। শাহাবাগ একদম মধ্যে হওয়ায় সবাই আসতে পারে সহজে। এবার তো মেট্্েরারেল হওয়ায় যারা আসতো না তারাও আসছে। বিষয়টা কি হবে জানি না। তবে আপনারা লেখেন যেন বাইরে নিয়ে না যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মেলার মতো হায় হায় অবস্থা হবে।শুনেছি দুরে চলে যাওয়ায় বাণিজ্য মেলা আর জমছে না। আমি বা আমার আত্মীয়স্বজন কেউই যায় নাই দূরে চলে যাওয়ার পর। অথচ এখানে যেমন শিশু সাহিত্যিক ও শিক্ষক জ্যোস্না লিপি বলেন, ‘বইমেলার স্থান বাংলা একডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই রাখা উচিত। কারণ এই বইমেলার সাথে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের অনেক কিছ্ইু জড়িত। কোনো অজুহাতেই এটা স্থানান্তর করা ঠিক হবে না’।
লেখক-প্রকাশকসহ বইমেলা সংশ্লিষ্টরা চান বইমেলা বাংলা একাডেমি এবং সোহাওয়ার্দী উদ্যানেই হোক। পূর্বাচলে যদি বইমেলায় নেওয়া হয়, তবে প্রকাশরা সেখানে যেতে আগ্রহী নন।
বইমেলা নিয়ে বর্ষিয়ান লেখক ইউসুফ শরীফ। তিনি বলেন, এই মেলা এখান থেকে সরে গেলে চিত্তরঞ্জন সাহা যে সৃষ্টি করে গেছেন তাকে অমর্যাদা করা হবে। তিনি বলেন,১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেইটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন চিত্তরঞ্জন সাহা। তারপ্রতিষ্ঠিতপ্রকাশনা সংস্থা মুক্তধারা’র বই নিয়ে। এরপর ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি একুশের যে অনুষ্ঠান করতো সেখানে একাডেমির ভেতরে ছোট একটি স্টল দিয়েমুক্তধারাবই বিক্রি করা শুরু করে। এরপর ১৯৭৭ সালে মুক্তধারার সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দেয়।
এরপর ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী একাডেমিকে এ বইমেলার সাথেযুক্ত করেন। এর পরের বছর বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি যুক্ত হয়।সেই থেকে শুরু একুশে বইমেলার।
২০১৪ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার বিস্তার ঘটানো হয় সৃজনশীলপ্রকাশকদের স্টল বরাদ্দের মাধ্যমে। আর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, মেলার মূল মঞ্চ এবং তথ্যকেন্দ্র রাখা হয় একাডেমি প্রাঙ্গণেই। এই এক দশক ধরে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হওয়া বইমেলা এখন বাঙালির প্রাণের মেলায় রূপ নিয়েছে। এই মেলা এখানে থেকে সরে গেলে মেলার সৌন্দর্য মেলায় জনসমাগম হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন লেখক ও প্রকাশকরা।
| বাড়তি দুইদিন সময় পেয়ে বইমেলা সংশ্লিষ্টরা যতোটা উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, বইমেলার স্থান পরিবর্তন হতে পারে এ খবরে তারচেয়ে বেশী যেন মর্মাহত হয়েছেন। |
বইমেলা, মেয়াদ বাড়ায় খুশি সবাই | তার কথা কি বলবো। তিশা বা সাবরিনা তো তাও কথা বলতে পারে। হিরো আলম তো সেটাও পারে না’ বলেন রোয়াজা। এমন পাবলিক প্লেসে তাদের না আসাই উচিত বলে জানান এই তরুণী।
মুশতাক-তিশা দম্পতিকে ও হিরো আলমকে বইমেলা থেকে ধাওয়া দিয়ে বের করে দিলেও সাবরিনাকে এই ধাওয়ায় পড়তে হয়নি। তবে তাদের বই বিক্রি মেলায় আসা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। মানুষ এ ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যান।
তারা কেউই পেশাদার বা জনপ্রিয় কিংবা গুরুত্বপূর্ণ লেখক না হলেও তাদের বই প্রচুর বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায়।
| তার কথা কি বলবো। তিশা বা সাবরিনা তো তাও কথা বলতে পারে। হিরো আলম তো সেটাও পারে না’ বলেন রোয়াজা। এমন পাবলিক প্লেসে তাদের না আসাই উচিত বলে জানান এই তরুণী। |
বইমেলায় ফ্রান্স প্রবাসী কাজী এনায়েত উল্লাহর দুই বই | অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ফ্রান্স প্রবাসী ব্যবসায়ী লেখক, সংগঠক ও উদ্যোক্তা কাজী এনায়েত উল্লাহর দুইটি বই। বইগুলো হচ্ছে উপন্যাস ‘সময়ের প্রক্ষিতে’ এবং ‘প্রত্যাশা’। বই দুটো পাওয়া যাবে বইমেলার ৬ নম্বর প্যাভিলিয়নে প্রথমা প্রকাশনীতে, প্রকাশিত হয়েছে অন্যপ্রকাশ থেকে।
বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রথিতযশা লেখক, শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- লেখক কাজী এনায়েত উল্লাহ, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ফখরুল আকম সেলিমসহ শিল্প -সাহিত্য অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
এর আগে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও লেখক কাজী এনায়েত উল্লাহর ৫টি বই এবং একটি ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।
| অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ফ্রান্স প্রবাসী ব্যবসায়ী লেখক, সংগঠক ও উদ্যোক্তা কাজী এনায়েত উল্লাহর দুইটি বই। বইগুলো হচ্ছে উপন্যাস ‘সময়ের প্রক্ষিতে’ এবং ‘প্রত্যাশা’। বই দুটো পাওয়া যাবে বইমেলার ৬ নম্বর প্যাভিলিয়নে প্রথমা প্রকাশনীতে, প্রকাশিত হয়েছে অন্যপ্রকাশ থেকে। |
নারী লেখকদের বই কম, বিক্রিও কম | তাহমিনা শিল্পী। নারী লেখকদের নিয়ে তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় নারী কবি ও লেখকদের প্রচুর বই এসেছে। কবিতার বই বেশি। মূলত, নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়েই নারীরা লিখছে। পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব সামলে নারীদের পক্ষে লেখালেখিতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। তবুও তারা নিজের ইচ্ছেকে জাগিয়ে রেখে লিখছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে সবাই ভালো লিখছে বা সবাই ভালো লিখছে না, এমনটা নয়। গড়পরতা লেখার ফাঁকে ফাঁকে যারা ভালো লিখছে তারা কিন্তু সাহিত্যের আঙ্গিনায় আপন প্রতিভার আলো ছড়াচ্ছেন। অনেকেরই লেখা পড়েছি,ভালো লেগেছে।
লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকেই অভিযোগ করেছেন, অনেক সময় নতুন লেখকদের লেখা ছাপানোর জন্য প্রকাশক পাওয়া যায় না। এমন অভিযোগও রয়েছে যে, বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকেরা পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত লেখকদেরই প্রাধান্য দেন-এ কথার সঙ্গে একদম একমত জানিয়ে লেখক রোকসানা রহমান বলেন, আজ প্রায় ৩০ বছর লেখালিখি নিয়ে। ইদানিং দেখছি আমলাদের লেখা বেশি বের হয়। এখন তোয়াজের যুগ। তোয়াজ করে বই করতে হয়। কিংবা টাকা দিয়ে। মেয়েরা বই লিখবে কি করে তাহলে। অনেকেই লিখছে, কিন্তু এসব কারণে অনেকের পা-ুলিপি আলোর মুখ দেখে না।
নিয়াজী মান্নার ৫টি নতুন বই এসেছে এবারের বইমেলায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেয়া যায় না বিশেষ করে নারীদের। এইটা একটা বিরাট সমস্যা। সেলিনা হোসেন পেরেছেন, কিন্তু তিনি কতোটা পেরেছেন তা আমার জানতে ইচ্ছা করে।’
শিশু সাহিত্যিক জ্যোৎস্না লিপি বলেন, নারী লেখকদের বই এর সংখ্যা কম হবার একটি বড় কারণ অনেক কম সংখ্যক নারী এই মুহূর্তে লেখালেখি করছেন। নারীরা লিখছে না, লিখলেও প্রকাশ করছে না। নারীরা ভালো লিখলে পুরস্কার পেলে সেটা নিয়েও বাজে সমালোচনা হয়।
প্রতিবছর বই মেলায় যত বই ছাপা হয়, তার কত শতাংশ নারী লেখকদের রচনা বলতে পারেন (?)। নারী লেখক তৈরিতে অমর একুশে বইমেলার আয়োজক, এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীর ভূমিকা রাখা উচিত বলে মনে করেন লেখক জ্যোৎম্না লিপি।
| তাহমিনা শিল্পী। নারী লেখকদের নিয়ে তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় নারী কবি ও লেখকদের প্রচুর বই এসেছে। কবিতার বই বেশি। মূলত, নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়েই নারীরা লিখছে। পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব সামলে নারীদের পক্ষে লেখালেখিতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। তবুও তারা নিজের ইচ্ছেকে জাগিয়ে রেখে লিখছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে সবাই ভালো লিখছে বা সবাই ভালো লিখছে না, এমনটা নয়। গড়পরতা লেখার ফাঁকে ফাঁকে যারা ভালো লিখছে তারা কিন্তু সাহিত্যের আঙ্গিনায় আপন প্রতিভার আলো ছড়াচ্ছেন। অনেকেরই লেখা পড়েছি,ভালো লেগেছে। |
বইমেলায় বিদায়ের সুর | বইমেলার আজ ২৭তম দিন। আজ, কাল ও পরশু তারপরই ইতি টানা হবে অমর একুশে বইমেলার। এ বছর মেলা দুইদিন বাড়ানোর জন্য বাংলা একাডেমির কাছে প্রকাশকরা আবেদন করলেও এখনও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
সময় না বাড়ালে আর বাকি ২ দিন। সেই হিসেবে বইমেলায় বেজে উঠেছে বিদায়ের সুর। প্রকাশক ও লেখকরা শেষ বেলায় নিজেদের বই কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্টলগুলোতে পাঠকের হাতে পছন্দের বই তুলে দিতে ব্যস্ত বিক্রয়কর্মীরা। তাদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে সব স্টলের চিত্র এমন নয়।
গতকাল মেলার প্রবেশ দ্বার দুপুর ১২টায় খুললেও অন্যান্য দিনের মতো বিকেল ৩টা থেকেই মানুষের ঢল নামে। শবে বরাতের ছুটি থাকায়, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন পাঠক দর্শনার্থী সমাগম কম হবে। কিন্তু তাদের ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণিত করে গতকালও প্রচুর মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
মেলায় মানুষের ঢল থাকলেও বই বিকিকিনি ছিল না অভিযোগ প্রকাশকদের। হাতেগোনো কয়েকটি প্রকাশনার স্টল ও প্যাভিলিয়ন বাদ দিলে বাকি স্টলগুলো ছিল ক্রেতাশূন্য। প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, এবার মেলায় দর্শনার্থী বেশি এলেও গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম। ‘বিক্রি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন’।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমা, অন্বেষা, ছায়াবিথীসহ বেশ কয়েকটি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে বিক্রয়কর্মীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। বিশষে করে প্রথমা স্টলে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বই বিক্রিও ছিল অন্যান্য স্টল প্যাভিলিয়নের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে লিটলম্যাগ চত্ত্বরে তখন হতাশার সুর। বিক্রয়কর্মীরা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করে সময় পার করছিলেন।
এই চত্ত্বরের ৩৮ নম্বর ‘খেয়া’ স্টলের পাশের স্টলটি দেখা গেল ফাঁকা। এ স্টলটি কি কেউ নেননি জানতে চাইলে লেখক শ্যামল দাষ বলেন, ‘এখানে স্টল বরাদ্দ পেলে কি আর না পেলেই কি। এদিকে কেউ আসেই না। বই বা ম্যাগাজিন না কিনুক। লোকজন আসলেও তো ভালো লাগে’।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘শেষ হয়ে গেলো বইমেলা। এই চত্ত্বরে শুধু পরিচিতরা আসে, আমাদের খুঁজতে। পাঠক দর্শনার্থীরা জানেই না লিটল ম্যাগ নামে একটা চত্ত্বর আছে। এতো বাজেভাবে আমাদের এই চত্বরের স্টলগুলো সাজিয়েছে এজন্য ঘৃণা জানাই বাংলা একাডেমিকে। এই চত্ব¡রকে ঘিরেই মেলা হওয়া উচিত ছিল, অথচ সবচেয়ে অবহেলা আর অবজ্ঞা করা হয়েছে আমাদের সঙ্গে।
নামসর্বস্ব, গুরুত্বহীন পুরো বছর বই বা ম্যাগাজিনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এমন অনেকেই স্টল নিয়েছেন। আবার স্টল নিয়েছেন কিন্তু বসেননি এমনও আছে। লিটল ম্যাগাজিন যে তার গৌরব হারিয়েছে তা এই ঘিঞ্জি চত্ত্বর থেকেই বোঝা যায়, বলে দুঃখ প্রকাশ করেন এই লেখক।
‘লেখক তৈরির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত লিটল ম্যাগ চত্বর ক্রমেই তার জৌলুস হারাচ্ছে’ বলেন লেখক, কবি ও ‘শালুক’ পত্রিকার সম্পাদক ওবায়েদ আকাশ। লিটল ম্যাগ চত্বর ২৭ নম্বরের শালুক স্টলে তাকে পাওয়া গেলো না। তাকে পাওয়া গেলো মূল মেলার ইত্যাদি প্রকাশনীতে। লিটল ম্যাগ চত্ত্বরে আপনি নেই জিজ্ঞেস করতেই বলেন, ওদিকটায় কেউ যায় না। তাই ওখানে একটু কম থাকা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লিটল ম্যাগ চত্বর নিয়ে আয়োজকদের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এর জৌলুস ক্রমাগত হারাচ্ছে’।
লিটল ম্যাগ চত্বর আগের পরিবেশ হারিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক সময় লিটল ম্যাগাজিন চত্বর মানেই ছিল তরুণদের আড্ডা, গল্প, সাহিত্য নিয়ে তর্ক-বিতর্ক। এখন আর সেই পরিবেশটা নেই। এখন ইন্টারনেট, আকাশ সংস্কৃতি ও তরুণদের বই বিমুখতা আমাদের ব্যথিত করে। তবে আমরা আশাহত নই। এখনও সারা বাংলাদেশে লিটল ম্যাগাজিনের চর্চা হচ্ছে। কোনো সাহসী লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে হয়তো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সাহস করে না। সেটি প্রকাশের জন্যই লিটল ম্যাগাজিন। হয়তো সাময়িকভাবে এতে ভাটা পড়েছে, তবে আমরা আশাবাদী এটি আবার তার জৌলুশ ফিরে পাবে।
লেখক ও সাংবাদিক হানযালা হান জানান, এই চত্বর ঘিরে পাঠকের আগ্রহ কম। অনেকেই জানেই না। কারণ একসময় এখানে সমাজের প্রচলিত প্রথার বাইরে গিয়ে যেসব ম্যাগাজিন প্রকাশ পেতো, রাজনৈতিক বা সামাজিক কারণে এখন আর এমন ম্যাগাজিন নেই বললেই চলে। তবে লিটল ম্যাগাজিনই কিন্তু লেখক তৈরির আঁতুড়ঘর ছিল। আমরা চাই আগের মতো লিটল ম্যাগ চত্বর তার প্রাণ ফিরে পাক।
এবারের বইমেলায় লিটল ম্যাগ চত্বরে ১৩৩টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত স্টলের মধ্যে অনেক স্টল নাই। যারা আছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আবার স্টল খোলা রেখে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিজেদের মধ্যে গল্প করছেন, আড্ডা দিচ্ছেন কিংবা মোবাইলে সময় পার করছেন।
লিটল ম্যাগ চত্বরের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হলে মেলা শেষে রিভিউ মিটিং জরুরি বলে জানান চত্বরে স্টল বরাদ্দ পাওয়া অনেকেই।
| বইমেলার আজ ২৭তম দিন। আজ, কাল ও পরশু তারপরই ইতি টানা হবে অমর একুশে বইমেলার। এ বছর মেলা দুইদিন বাড়ানোর জন্য বাংলা একাডেমির কাছে প্রকাশকরা আবেদন করলেও এখনও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। |
শিশুদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে জমজমাট বইমেলার শিশু প্রহর | মায়ের সাথে মিরপুর থেকে একুশের বই মেলায় এসেছে শিশু আয়ান। মেলায় এসে অনেক খুশি। আয়ান মেলায় সিসিমপুর দেখেছে। তার পছন্দের চরিত্র হালুম, শিকু। হালুম মাছ এবং শাক সবজি খেতে বলেছে। তাই হালুমের মতো সেও মাছ শাক সবজি খেয়ে, সুস্থ থাববে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন বই মেলায় ‘শিশু প্রহর’। তাই সকাল থেকেই মা-বাবার হাত ধরে বই মেলায় এসেছে শিশুরা। শিশু প্রহরে তাদের জন্য থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান । এর মধ্যে শিশুদের সবচেয়ে বেশী পছন্দ সিসিমপুরের মঞ্চ ।
সিসিমপুরের হালুম ,টুকটুকি,ইকরি ,শিকু শিশুদের খুবই পছন্দের চরিত্র। বই মেলায় টিভির পছন্দের চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে আনন্দ উচ্ছ্বাস ছিল শিশুদের চোখে মুখে।
বইপড়া, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ভালো কাজ করাসহ শিশুদের মানসিক বিকাশে নানান শিক্ষনীয় বিষয় সিসিমপুরের মঞ্চে উপস্থাপন হয় খেলার ছলে।
অনুষ্ঠানে টুকটুকি, হালুম,ইকুরি, শিকুদের সাথে হেসে খেলে নেচে গান গেয়ে শেষ হয় শিশুদের সিসিমপুরের পর্ব। তারপর শিশুরা যায় অভিভাবকদের সাথে মেলার বইরের দোকান গুলোতে । ক্রয় করেন পছন্দের বই ।
শিশু তুষা বাবার সাথে বই মেলা এসেছে , মেলায় তার খুবই ভালো লেগেছে, অনেক গুলো বই এক সাথে দেখতে পেয়েছে মেলায়। চাঁদের বুড়ি, মাথায় কত প্রশ্ন জাগে ,ছোটদের ভূতের গল্প, পঞ্চাশটি বিজ্ঞারী প্রজেক্টর বই সহ ৬টি বই কিনেছে। তার গল্পের বই অনেক ভালো লাগে।
তুষা বাবা আব্দুস সালাম বলেন, প্রযুক্তির যুগে শিশুরা ডিভাইস নির্বর হয়ে পরছে । বই পড়ার মজা থেকে শিশুরা দুরে সরে যাচ্ছে । তাই অভিবাকদের অবশই শিশুদের বই মেলায় আনা এবং শিশুদের বই পড়তে উৎসাহ দেওয়া জরুরী। বই মেলার পরিধি বৃদ্ধি করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন ।
আয়েশা এসেছে বাবা-মায়ের সাথে গাজিপুর থেকে ,সে কিনেছে মিনা রাজু ,গোপাল ভাড়, গল্প গুলো ছোটদের সহ কয়েকটি গল্পের বই ।
রাইহান এবং আয়ান বাবা সাথে এসেছে কেরারীগঞ্জ থেকে মেলায় সিসিমপুর দেখে তারা অনেক খুশি। মেলা ঘুরে বই দেখবে খেলাধুলা, সাইন্স ফিকশনের বই কিনবে ।
তাদের বাবা আতিকুর রহমান বলেন তার দুই ছেলে সিসিমপুর দেখে খুবই আনন্দিত। তিনি জানান তার ছেলেরা টিভিতে সিসিমপুর দেখে। এটি তার ছেলেদের পছন্দের অনুষ্ঠান আজ শিশু প্রহরে টিভির চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে অনেক উপভোগ করেছে ছেলেরা । হেসে খেলে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি মনে করেন শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া প্রয়োজন।
শিশু গ্রহ্থ কুটিরের বিক্রয়কর্মী মুনীশা বলেন, শিশুরা সাইন্স ফিকশন , কার্টুন , ভুতের গল্প , ছড়া , কবিতার বই বেশী কিনছে। আজ শিশু প্রহর তাই মেলায় শিশুদের উপস্থিতি বেশী এবং শিশুদের বই বেশী বিক্রয় হচ্ছে।
টুনটুনি প্রকাশণীর বিক্রয়কর্মী তাহমিনা আক্তার শান্তা বলেন, বিভিন্ন ধরণে গল্পের বই কিনছে শিশুরা বিশেষ করে ছেলে বাচ্চারা খেলাধুলা, সাইন্স ফিকশনের বই বেশী কিনছে ।
মাসব্যাপী বই মেলায় সপ্তাহের দুদিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাককে শিশুদের জন্য,‘শিশু প্রহর’।
| মায়ের সাথে মিরপুর থেকে একুশের বই মেলায় এসেছে শিশু আয়ান। মেলায় এসে অনেক খুশি। আয়ান মেলায় সিসিমপুর দেখেছে। তার পছন্দের চরিত্র হালুম, শিকু। হালুম মাছ এবং শাক সবজি খেতে বলেছে। তাই হালুমের মতো সেও মাছ শাক সবজি খেয়ে, সুস্থ থাববে। |
বইমেলায় শিশুদের চোখে মুখে ছিল আনন্দ উচ্ছ্বাস | সিসিমপুর শিশুদের পছন্দের অনুষ্ঠান। হালুম ,টুকটুকি,ইকরি ,শিকু শিশুদের খুবই পচ্ছন্দের চরিত্র। তারা সবসময় টেলিভিশনে সিসিমপুর দেখে। বই মেলায় শিশু প্রহরে টিভির পছন্দের চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে আনন্দ উচ্ছ্বাস ছিল শিশুদের চোখে মুখে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন বই মেলায় শিশুদের জন্য থাকে বিশেষ আয়োজন ‘শিশু প্রহর’। তাই সকাল থেকেই মা-বাবার হাত ধরে বই মেলায় এসেছে শিশুরা। শিশু প্রহরে তাদের জন্য থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান । এর মধ্যে শিশুদের সবচেয়ে বেশী পছন্দ সিসিমপুরের মঞ্চ ।
বইপড়া পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ভালো কাজ করা সহ শিশুদের মানসিক বিকাশে নানান শিক্ষনীয় বিষয় সিসিমপুরের মঞ্চে উপস্থাপন হয় খেলার ছলে। শিশুরাও হেসে খেলে শেখে নেয় জীবনে পাঠ ।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হয় শিশু প্রহর । কিন্তু এর এগেই মা-বাবার সাথে বই মেলা চলে আসে শিশুরা । ১১ টায় ডুকতে দেওয়া হয় মেলায়। দীর্ঘক্ষন মেলার গেইটে অপেক্ষা করে শিশু ও অভিবাককরা। মেলায় ডুকেই শিশুরা চলে যায় সিসিমপুরের মঞ্চর দিকে । শিশুদের যেন সিসিমপুর দেখার অপেক্ষা আর সইছিল না ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে টুকটুকি, হালুমদের নিয়ে শিশুদের মাঝে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ। হেসে খেলে শিশুদের ট্রাফিক সিগনাল সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং কিভাবে রাস্তা পার হবে তা শেখায়। শিকুদের সাথে হেসে নেচে গান গেয়ে শেষ হয় শিশুদের সিসিমপুরের পর্ব । তারপর শিশুরা যায় অভিবাবকদের সাথে মেলার বইরের দোকান গুলোতে । ক্রয় করেন পছন্দের বই ।
শিশু তুষা বাবার সাথে বই মেলা এসেছে ,মেলায় তার খুবই ভালো লেগেছে, অনেক গুলো বই এক সাথে দেখতে পেয়েছে মেলায়। চাঁদের বুড়ি, মাথায় কত প্রশ্ন জাগে ,ছোটদের ভূতের গল্প, পঞ্চাশটি বিজ্ঞারী প্রজেক্টর বই সহ ৬টি বই কিনেছে । তার গল্পের বই অনেক ভালো লাগে।
তুষা বাবা আব্দুস সালাম বলেন, প্রযুক্তির যোগে শিশুরা ডিভাইস নির্বর হয়ে পরছে । বই পড়ার মজা থেকে শিশুরা দুরে সরে যাচ্ছে । তাই অভিবাকদের অবশ্যই শিশুদের বই মেলায় আনা এবং শিশুদের বই পড়তে উৎসাহ দেওয়া জরুরী। বই মেলার পরিধি বৃদ্ধি করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন ।
আতিকুর রহমান কেরারীগঞ্জ থেকে এসেছে দুই ছেলেকে নিয়ে। তার দুই ছেলে সিসিমপুর দেখে খুবই আনন্দিত। তিনি জানান তার ছেলেরা টিভিতে সিসিমপুর দেখে। এটি তার ছেলেদের পছন্দের অনুষ্ঠান আজ শিশু প্রহরে টিভির চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে অনেক উপভোগ করেছে ছেলেরা । হেসে খেলে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি মনে করেন শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া প্রয়োজন।
শিশু গ্রহ্থ কুটিরের বিক্রয়কর্মী মুনীশা বলেন, শিশুরা সাইন্স ফিকশন , কার্টুন , ভুতের গল্প , ছড়া , কবিতার বই বেশী কিনছে। আজ শিশু প্রহর তাই মেলায় শিশুদের উপস্থিতি বেশী এবং শিশুদের বই বেশী বিক্রয় হচ্ছে।
টুনটুনি প্রকাশণীর বিক্রয়কর্মী তাহমিনা আক্তার শান্তা বলেন, বিভিন্ন ধরণে গল্পের বই কিনছে শিশুরা বিশেষ করে ছেলে বাচ্চারা খেলাধুলা, সাইন্স ফিকশনের বই বেশী কিনছে ।
অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর শিশু প্রহর উদ্বোধন হয় ২ ফেব্রুয়ারী । বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা শিশু চত্বরে শিশু প্রহর উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী বই মেলায় সপ্তাহের দুদিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাককে শিশুদের জন্য, এই সময়টাকে ঘোষণা করা হয় শিশু প্রহর হিসেবে।
| সিসিমপুর শিশুদের পছন্দের অনুষ্ঠান। হালুম ,টুকটুকি,ইকরি ,শিকু শিশুদের খুবই পচ্ছন্দের চরিত্র। তারা সবসময় টেলিভিশনে সিসিমপুর দেখে। বই মেলায় শিশু প্রহরে টিভির পছন্দের চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে আনন্দ উচ্ছ্বাস ছিল শিশুদের চোখে মুখে। |
বই মেলায় খুদে লেখকদের গল্প সংকলন ‘কিশোর রূপাবলি’ | অমর একুশে বই মেলা, ২০২৪ উপলক্ষ্যে পুথিপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে খুদে লেখকের গল্প সংকলন ‘কিশোর রূপাবলি’।
‘কিশোর রূপাবলি’ বইয়ের প্রচ্ছদ
বইটির সম্পাদনা করেছেন মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও সম্পাদনা সহযোগিতায় ছিলেন ডা. বিদ্যুৎ চন্দ্র দেবনাথ। বইটিতে যাহারাতুন নাঈম নিষ্ঞনাতসহ ১২ খুদে লেখকের গল্প স্থান পেয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘কিশোর রূপাবলি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে খুদে লেখকবৃন্দ
বইটি রনলা’র (রবীন্দ্র-নজরুল-লালন) সদস্যদের উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে। বইমেলায় ৩১ নম্বর প্যাভিলিয়ন বিশ্বসাহিত্য ভবনে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
সহযোগী সম্পাদক বিদ্যুৎ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বইয়ের কল্পকাহিনিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক এই জাতীয় গল্পই বলা হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘কিশোর রূপাবলি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের একটি মূহুর্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান এবং বইটির সম্পাদক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বইয়ের গল্পগুলো পাঠের মাধ্যমে পাঠক ‘কল্পনার জগতে হারিয়ে যাবে’।
‘মনে হবে পাঠক নতুন কোনো জগতে রয়েছে যে জগৎ বাস্তব থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। দারুণ সুখপাঠ্য এই ‘কিশোর রূপাবলি’ পাঠকপ্রিয় হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
| অমর একুশে বই মেলা, ২০২৪ উপলক্ষ্যে পুথিপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে খুদে লেখকের গল্প সংকলন ‘কিশোর রূপাবলি’। |
বইমেলায় সরোজ মেহেদীর ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ | অমর একুশে বইমেলায় এসেছে সাহিত্যিক ও গবেষক সরোজ মেহেদীর লেখা বই ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’।
কোভিড-১৯ মহামারিকালে ভারতে যাপিত জীবন এবং সেখান থেকে দেশে ফেরার পথে দেখা নানা ঘটনা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে বইটির পাণ্ডুলিপি সাজিয়েছেন লেখক।
মোস্তাফিজ কারিগরের নজরকাড়া প্রচ্ছদে বইটি প্রকাশ করেছে রাজধানীর শাহবাগের উৎস প্রকাশন। এটি বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬০, ৩৬১, ৩৬২ নম্বর স্টলে মিলবে। এছাড়া শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে উৎস প্রকাশনে, রকমারিসহ অনলাইন বিপণন প্ল্যাটফর্মগুলোতেও পাওয়া যাবে বইটি।
পেশায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হলেও সরোজ মেহেদীর মন-মনন সাহিত্যেই আবিষ্ট। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘আমি লিখি লেখার প্রতি টান অনুভব করি বলে। তবে নিজের লেখা নিয়ে কোনো দাবি নেই। কেউ পড়লে খুশি, না পড়লেও খুশি। খুব ভালো লেখার প্রতিভা নিয়ে জন্মেছি বলে কখনো মনে হয় না। বাংলা ভাষাটাও ঠিকঠাক জানি তা না। তবে নিজে যা বুঝি, যা অনুভব করি, যা দেখি তা নিজের মতো করে বলার জন্য হলেও লিখতে চাই-এই হলো কথা। আমার কাঁচা হাতের বাংলা তাই আর বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ভেতর থেকে কে যেন বলে- রাখো তোমার দুর্বলতা। লেখো, লেখো। তোমার দুর্বল লেখা থেকে উপাদান নিয়েই হয়ত কেউ একজন মারাত্মক সব সবল লেখা লিখবে। সেই লেখায় তুমি ছায়া হয়ে জাজ্বল্যমান থাকবে। ’
‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ প্রসঙ্গে সরোজ মেহেদী বলেন, “শিক্ষার টানে ২০১৯ সালে ভারতের চন্ডিগড়ে যেতে হয়েছিল। সেখানে যাপিত জীবন, এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির হানা, ওই দুঃসময়ে দেশে ফেরার সময় নানা সুখকর-অসুখকর ঘটনার অভিজ্ঞতা লিখতে শুরু করি। সেসব ঘটনা, নিজের কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ বইটি। ”
এই সাহিত্যিক বলেন, “প্রতিটা পাতায় পাতায় যেন মাতৃত্বের মমতা জড়ানো। যে লেখে কেবল সেই বুঝে ‘লেখক জীবন’ তার ‘ব্যক্তিজীবন’র কতটা শত্রু। লেখার নেশা একজন মানুষকে নানাভাবে তার চারপাশের বিত্ত-বৈভব, বৈষয়িকতায় যোজন যোজন পিছিয়ে দেয়। তবু বেঁচে থাকলে কেবল লিখে যেতে চাই। জীবন নিয়ে এর চেয়ে বেশি আর কোনো উচ্চাশা নেই। ”
সাহিত্যিক সরোজ মেহেদী বর্তমানে গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর।
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে সরোজ মেহেদী সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের তুর্কি ভাষা বিভাগে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসেও (বিউপি) খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন তিনি।
| অমর একুশে বইমেলায় এসেছে সাহিত্যিক ও গবেষক সরোজ মেহেদীর লেখা বই ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’। |
বইমেলায় মাহবুবুর রহমান তুহিনের ‘চেকবই’ | অমর একুশে বইমেলায় পাঠকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছে ‘চেকবই’। মাহবুবুর রহমান তুহিনের লেখা ‘চেকবইটি’ পাওয়া যাচ্ছে তাম্রলিপির প্যাভিলিয়নে।
তাম্রলিপির মোস্তাফিজুর রহমান তারেক বলেন, শব্দের নিখুঁত গাঁথুনি, ভাষার নিপুণ বুননে মাহবুবুর রহমান তুহিনের ‘চেকবই’র অক্ষরগুলো শপথের সাক্ষর ঘোষণা করেছে। ভাবের আবেগ পরিমিত ও পরিমার্জিতরূপে কবির কথাগুলো নরম ও কোমল করে তুলেছে। আর তখন দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ না হয়ে কাঠফাটা রোদে বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে।
‘চেকবই’ সম্পর্কে জানতে চাইলে এক পাঠক বললেন, বেলা-অবেলা-সারাবেলার ভাব-ভাবনা, ব্যস্ত-ব্যাকুল মনের কামনা-বাসনা-যাতনা-প্রেরণা সুনিপুণ ম্যাকম্যানের মতো সাজিয়েছে ‘চেকবই’।
আরেক পাঠক জানালেন, মানব মনের গভীর-জটিল রহস্যের মুখ খুলে দেওয়া হয়েছে এতে হাস্য-পরিহাসছলে। ইন্দ্রজাল ছিন্ন করে ব্যক্তি নিজেকে দেখতে পেয়েছে ‘মায়াবী পর্দায়’। তখনই কালের কারাগার থেকে মুক্তির পংক্তিগুলো পাঠককে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছে।
তাম্রলিপির (১৫ নম্বর) প্যাভিলিয়নে ‘চেকবই’ পাওয়া যাচ্ছে। প্রচ্ছদ এঁকেছেন চারু পিন্টু।
| অমর একুশে বইমেলায় পাঠকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছে ‘চেকবই’। মাহবুবুর রহমান তুহিনের লেখা ‘চেকবইটি’ পাওয়া যাচ্ছে তাম্রলিপির প্যাভিলিয়নে। |
বইমেলায় প্রকাশিত হলো সাংবাদিক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের ‘যাপিত জীবনের গল্প’ | চলছে অমর একুশে বইমেলা। প্রতিদিনই নতুন নতুন বই যুক্ত হচ্ছে। লেখক প্রকাশক ব্যস্ত সময় পার করছেন তাদের বই পাঠকদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য। এমনি একজন লেখক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল। সাংবাদিকতা তার পেশা। এই পেশার সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, প্রিয়-অপ্রিয়, বিব্রতকর পরিস্থিতির পাশাপাশি গ্রাম ও শহর জীবনের নানা বাস্তব ঘটনা নিয়ে লিখেছেন তার ‘যাপিত জীবনের গল্প’।
‘যাপিত জীবনের গল্প’ বইটি উজ্জলের প্রথম বই। প্রথম বই, মেলায় লেখক হিসেবে প্রথম - এসব নিয়ে বলেন, তিনি যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে লিখতেন। বিচ্ছিন্নভাবে লেখা তার এই অভিজ্ঞতাগুলোকে একত্রিত করে বই আকারে প্রকাশের জন্য অনেকই বলেন। এই ঘটনাগুলোই এখন বই হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে ‘যাপিত জীবনের গল্প’নামে বই মেলায়।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন রিপোর্টারকে নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে সামনে এগোতে হয় এই, বইয়ে তাই আছে।
‘যাপিত জীবনের গল্প’ বইটি পড়ার মাধ্যমে তারা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। ৩৪টি উল্লেখযোগ্য ঘটনার গল্প নিয়ে বইটির প্রথম খন্ড সাজানো হয়েছে। সত্যঘটনা গল্পের ঢং-এ তুলে ধরেছেন।
‘যাপিত জীবনের গল্প’ নামের বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন মামুন হোসাইন। ঝুমঝুমি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইমেলায় ৭০ ও ৭১ নাম্বার স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।
| চলছে অমর একুশে বইমেলা। প্রতিদিনই নতুন নতুন বই যুক্ত হচ্ছে। লেখক প্রকাশক ব্যস্ত সময় পার করছেন তাদের বই পাঠকদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য। এমনি একজন লেখক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল। সাংবাদিকতা তার পেশা। এই পেশার সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, প্রিয়-অপ্রিয়, বিব্রতকর পরিস্থিতির পাশাপাশি গ্রাম ও শহর জীবনের নানা বাস্তব ঘটনা নিয়ে লিখেছেন তার ‘যাপিত জীবনের গল্প’। |
সমাজসেবায় একুশে পদকঃ এখনও ফেরি করে দই বিক্রি করেন জিয়াউল হক | ইচ্ছে ছিলো লেখাপড়া করবেন। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণীতেই থেমে যায় তার সেই ইচ্ছা। কারণ, অভাব। বাড়ি বাড়ি গরুর দুধ দহন করে জীবিকা নির্বাহ করা বাবা বই কেনার জন্য দেড় টাকা দিতে পারেননি। তবে সেই বালক জিয়াউল হককে এখন দেশের অনেকেই চেনেন। কারণ তিনি এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
না লেখাপড়া আর হয়নি। এখন ফেরি করে নিজের বানানো দই বিক্রি করেন। বয়স এখন ৯১। তার মতো টাকার অভাবে বই কিনতে না পেরে কেউ যেন লেখাপড়া থেকে ছিটকে না পড়ে, সেই চিন্তা থেকেই শুরু করেন কাজ।
জিয়াউল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তঘেঁষা ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন সাধারণ দই বিক্রেতা হলেও তার নেশা সমাজসেবা। দই বিক্রির টাকায় তিনি তৈরি করেছেন লাইব্রেরি।
স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দেন জিয়াউল হক। তাই তাকে সবাই চেনে সাদা মনের মানুষ হিসেবে।
সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ জন নাগরিককে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় নাম রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দই বিক্রেতারও। সমাজসেবায় অবদান রাখায় এই পদক পাচ্ছেন তিনি।
জিয়াউল হকের বাবার নাম তৈয়ব আলী মোল্লা এবং মায়ের নাম শরীফুন নেছা। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ৩ নম্বর দলদলী ইউনিয়নের চামা মুশরিভুজা গ্রামে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর বর্তমানে তিনি বটতলা গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন।
জিয়াউল হক ১৯৫৫ সালে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চান। কিন্তু বাড়ি বাড়ি গরুর দুধ দহন করে জীবিকা নির্বাহ করা বাবা বই কেনার জন্য দেড় টাকা দিতে পারেননি। এই কারণে উচ্চবিদ্যালয়েও ভর্তি হওয়া হয়নি তার। এরপর বাবার সংগ্রহ করা দুধ দিয়ে দই তৈরি করে ফেরি করে বিক্রি করা শুরু করেন।
দু-তিন বছর পর কিছু টাকা জমা হয় জিয়াউল হকের হাতে। তখন জিয়াউল হকের চিন্তা হয়, যারা তার মতো টাকার অভাবে বই কিনতে না পেরে লেখাপড়া থেকে ছিটকে পড়তে পারে, তাদের তিনি এই টাকা দিয়ে বই কিনে দেবেন। তবেই তার বিদ্যালয়ে পড়তে না পারার বেদনা লাঘব হবে।
আর এই লক্ষ্য সামনে রেখে গরিব ছাত্রদের মধ্যে বই বিলি শুরু করেন। যতদিন পর্যন্ত সরকার বই বিনা মূল্যে দেওয়া শুরু করেনি, ততোদিন পর্যন্ত বই দিতে থাকেন। এরপর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণির ছাত্রদের বই দিতে থাকেন জিয়াউল। তার দেওয়া বই পড়ে ও আর্থিক সহায়তা পেয়ে অনেকেই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে চাকরি করছেন। শুধু তা–ই নয়, দই বিক্রি করা টাকায় বইয়ের ভান্ডার গড়ে তোলেন। ১৯৬৯ সালে নিজের বাড়ির একটি ঘরে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’। এ পাঠাগারে এখন ১৪ হাজার বই আছে বলে জানা গেছে।
ভোলাহাট উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা জামিল বলেন, ৬৫ বছর ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে সাইকেলে চেপে মাথায় দই নিয়ে বিক্রি করেন জিয়াউল হক। আর এ দই বিক্রি থেকে যে টাকা আয় হয়, তা দিয়েই সমাজসেবা চালিয়ে যান। এলাকার শত শত মানুষের উপকার করেছেন তিনি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুদানও দিয়েছেন। এমনকি, কেউ টাকার অভাবে পড়ালেখা করতে পারছেন না শুনলে তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবসময়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হক জানান, ‘২০২৪ সালের একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকায় আমার নামও রয়েছে। বিষয়টি মঙ্গলবার (১৩) ফেব্রুয়ারি বিকেলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিব আমাকে জানান। এতে আমি ভীষণ আনন্দিত। এই পদক আমার সমাজসেবাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।’
| ইচ্ছে ছিলো লেখাপড়া করবেন। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণীতেই থেমে যায় তার সেই ইচ্ছা। কারণ, অভাব। বাড়ি বাড়ি গরুর দুধ দহন করে জীবিকা নির্বাহ করা বাবা বই কেনার জন্য দেড় টাকা দিতে পারেননি। তবে সেই বালক জিয়াউল হককে এখন দেশের অনেকেই চেনেন। কারণ তিনি এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। |
বইমেলায় পন্নী নিয়োগীর নতুন গ্রল্পগ্রন্থ আতশবাজি | অমর একুশে বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে সাদিকুল নিয়োগী পন্নীর ৫ম গল্পগ্রন্থ ‘আতশবাজী’। বইটিতে ঘামাচির অপারেশন, পারফিউম, প্রেম প্রশিক্ষণ, জামিল ভাইয়ের বাইক, কোষ্ঠকাঠিন্য, চা কিংবা কফির গল্প, ছাদবাগান, কিপটে শহিদুল, বাজি, কাকার ফটোগ্রাফি, তুফান, আরিফ ভাইয়ের সংগীতচর্চা, সর্বরোগ বিশেষজ্ঞ, ফেসবুক অপারেটর, আনারস, পান সমাচার, কালো চশমা, নাশতার দুরবস্থা, আতশবাজি ও কচি ডাব শিরোনামে মোট বিশটি গল্প রয়েছে।
রম্যগল্পগুলোতে সামাজিক প্রেক্ষাপট, মানব চরিত্র ও জীবনের নানা অসংগতির বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কাওছার মাহমুদ। বর্ষাদুপুর প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদের মূল্য রাখা হয়েছে ২৭০ টাকা। মেলায় বইটি ২৬ নম্বর প্যাভেলিয়নে স্টুডেন্ট ওয়েজ/বর্ষাদুপুরের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
সাদিকুল নিয়োগী পন্নীর লেখালেখি শুরু ২০০৫ সাল থেকে। একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার প্রথম লেখা ছাপা হয় দৈনিক যুগান্তরে। তারপর থেকে তিনি যুগান্তরের বিভিন্ন পাতায় নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন। জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর যোগদান করেন দৈনিক যুগান্তরে সাংবাদিক হিসেবে। প্রায় সাত বছর সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি দৈনিক যুগান্তরের প্রায় প্রতিটি ফিচার পাতায় নিয়মিত লিখেছেন। একইসময় গল্পসহ নানা বিষয়ে লেখালেখি করেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কর্মরত আছেন। টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও নাটক নির্মাণের পাশাপাশি জাতীয় দৈনিকে গল্পসহ নানা বিষয়ে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। তার পূর্ব প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ: অদৃশ্য শ্রোতা, সন্ধ্যামালতি, এক সুতা জমি ও জল থেরাপি।
| অমর একুশে বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে সাদিকুল নিয়োগী পন্নীর ৫ম গল্পগ্রন্থ ‘আতশবাজী’। বইটিতে ঘামাচির অপারেশন, পারফিউম, প্রেম প্রশিক্ষণ, জামিল ভাইয়ের বাইক, কোষ্ঠকাঠিন্য, চা কিংবা কফির গল্প, ছাদবাগান, কিপটে শহিদুল, বাজি, কাকার ফটোগ্রাফি, তুফান, আরিফ ভাইয়ের সংগীতচর্চা, সর্বরোগ বিশেষজ্ঞ, ফেসবুক অপারেটর, আনারস, পান সমাচার, কালো চশমা, নাশতার দুরবস্থা, আতশবাজি ও কচি ডাব শিরোনামে মোট বিশটি গল্প রয়েছে। |
বরখাস্ত হলেন ওপেনএআইয়ের সিইও | কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা গবেষণা সংস্থা ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চ্যাটজিপিটি, ড্যাল-ই ৩, জিপিটি-৪ এর মতো বিশ্বখ্যাত চ্যাটবটগুলোর উদ্ভাবক হলো এই ওপেনএআই। বরখাস্ত হওয়ায় ওপেনএআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের পদও ছাড়তে হবে স্যাম আল্টম্যানকে।
ওপেনআই তাদের অফিসিয়াল ব্লগে একটি পোস্টে জানিয়েছে, ‘প্রতিষ্ঠানের বোর্ডের সুচিন্তিত পর্যালোচনার পর’ অ্যাল্টম্যানকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পোস্টে আরও জানানো হয়, ‘বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অ্যাল্টম্যান অকপট ছিলেন না। এরমাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের যে দায়িত্ব আছে সেটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ওপেনএআইকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাল্টম্যানের ওপর বোর্ডের আর কোনো ভরসা নেই।’
বরখাস্ত হওয়ার পর অ্যাল্টম্যান মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লিখেছেন, ‘ওপেনএআইয়ের সঙ্গে থাকা সময়গুলোকে আমি ভালোবাসি। এটি আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে যুগান্তকারী ছিল। আশা করি বিশ্বের জন্যও কিছুটা ছিল। এ ধরনের মেধাবি মানুষের সঙ্গে কাজ করার বিষয়টিকে খুবই পছন্দ করেছি। পরবর্তীতে কি হবে এ ব্যাপারে অনেক কিছু বলার আছে।’
ওপেনএআইয়ে নেতৃত্বে হঠাৎ এ নাটকীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে দেখা যাবে গ্রেগ ব্রোকম্যান— যিনি ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন— তিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়বেন। তবে প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার পদ বহাল থাকবে।
ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নতুন স্থায়ী সিইও খোঁজার কাজ শুরু করে দেবে। সিইওর পদ হারানো স্যাম অ্যাল্টম্যান ওপেনএআইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহপ্রতিষ্ঠা ছিলেন।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
| কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা গবেষণা সংস্থা ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চ্যাটজিপিটি, ড্যাল-ই ৩, জিপিটি-৪ এর মতো বিশ্বখ্যাত চ্যাটবটগুলোর উদ্ভাবক হলো এই ওপেনএআই। বরখাস্ত হওয়ায় ওপেনএআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের পদও ছাড়তে হবে স্যাম আল্টম্যানকে। |
মোবাইল নম্বর ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ | হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হয়। এভাবেই সবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। কিন্তু এবার বদলে যেতে চলেছে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েটের এই পুরনো পদ্ধতি। ইমেইল ব্যবহারেও এখন হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। নতুন এই ফিচারটি এখন পরীক্ষামূলকভাবে চালু রয়েছে। এটি কার্যকর হলে, ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন নম্বর ছাড়া ইমেল দিয়েও অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে পারবেন।
সাধারণত ফোন বদল করলে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তখন এসএমএসর মাধ্যমে ওটিপি যাচাইকরণ করেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে ফেলা সহজ একটি পদ্ধতি হবে এমনটাই স্বাভাবিক। আবার ভেবে দেখুন, কোনো নম্বর নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে বা ফোন চুরি হলে আরও বিপদ।
সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণের জন্য এসএমএস এ ওটিপি আসে। এই পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউ অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারে না। এটি সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। তবে কারও যদি মোবাইল নম্বরটিই বদলে যায় বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তাহলে তিনি আর এসএমএস পাবেন না। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ এ লগইনও করতে পারবেন না।
ওয়াবেটাইনফ’র দাবি, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি একটি ইমেল যাচাইকরণ ফিচার পরীক্ষা করছে। এটি ব্যবহারকারীদের মোবাইল নম্বর ছাড়াও ইমেল ব্যবহার করে তাদের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে দেবে।
নতুন ফিচারটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার একটি সংযোজন হতে চলেছে। এসএমএস যাচাইকরণের পাশাপাশি এটিও থাকবে। এই ফিচার এন্ড্রোয়েড ও আইওএস-এর বিটা ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা ‘অ্যাকাউন্ট সেটিং’ এই অপশন পাবেন। সেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ই-মেইল অ্যাড্রেস লিখতে পারেন। যা কোনোভাবেই অন্যকোনো পক্ষ জানতে পারবে না দীর্ঘদিন ধরে এই নতুন ই-মেইল যাচাইকরণ ফিচারটি পরীক্ষা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। সর্বশেষ বিটা সংস্করণ ২.২৩.২৪.১০ আপডেট অনেকেই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারছেন। শিগরিগরই এই সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র: ওয়েবেটাইনফো
| হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হয়। এভাবেই সবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। কিন্তু এবার বদলে যেতে চলেছে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েটের এই পুরনো পদ্ধতি। ইমেইল ব্যবহারেও এখন হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। নতুন এই ফিচারটি এখন পরীক্ষামূলকভাবে চালু রয়েছে। এটি কার্যকর হলে, ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন নম্বর ছাড়া ইমেল দিয়েও অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে পারবেন। |
শেখ রাসেল দিবসে ৫টি ‘স্মার্ট‘ উদ্যোগ চালু করলো এটুআই | দেশের মানুষের দোরগোড়ায় ‘স্মার্ট সেবা’ পৌঁছে দিতে নতুন ৫টি ‘উদ্ভাবনী প্রকল্প’ চালু করেছে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই। এই সেবাগুলো হলো- স্মার্ট ৩৩৩; স্মার্ট ই-ট্রেড লাইসেন্স; সমন্বিত ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সেবা — ‘একপাস’; শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাপ — ‘নৈপুণ্য’ এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য স্মার্ট প্রেগনেন্সি মনিটরিং সিস্টেম।
আজ ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
দেশের মানুষের সময়, ব্যয় ও যাতায়াত সাশ্রয় করতে এই পাঁচটি উদ্ভাবনী ও স্মার্ট প্রকল্প এটুআই চালু করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্মার্ট ৩৩৩: জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এ যোগ হলো নতুন মাত্রা। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহযোগিতা এবং সকল সরকারি তথ্য ও সেবা পেতে নাগরিকরা সহজে অটোমেটেড পদ্ধতিতে ‘স্মার্ট ৩৩৩’ এর মাধ্যমে এই সেবা পাবেন। টোল ফ্রি জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এ কল দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘স্মার্ট সাথী’ এর সঙ্গে কথা বলে সেবা নিতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে এই স্মার্ট হেল্পলাইন সেবার মাধ্যমে পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন, স্মার্ট কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এর সেবা নিতে পারবেন।
স্মার্ট প্রেগনেন্সি মনিটরিং সিস্টেম: সন্তানসম্ভবা মা এবং নবজাতকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য ধারাবাহিকভাবে গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে ও সন্তানসম্ভবা মায়েদের গর্ভকালীন সময়ের রোগ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি এক জায়গায় সংরক্ষিত রাখার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই স্মার্ট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। এটি সন্তানসম্ভবা নারীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যাদি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে গর্ভকালীন জটিলতা দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানে সহায়তা করবে। এই স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবেন কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং এটুআই এর সহযোগিতায় স্মার্ট প্রেগনেন্সি মনিটরিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
স্মার্ট ই-ট্রেড লাইসেন্স: নাগরিকরা যেকোনো সময়, যেকোন স্থান থেকে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ই-ট্রেড লাইসেন্স পেতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ই-ট্রেড লাইসেন্স ডাউনলোড করে পেয়ে যাবেন।
আবেদন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে লাইসেন্স দিবে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশন। এটুআই এর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই স্মার্ট ই-ট্রেড লাইসেন্স।
নৈপুণ্য অ্যাপ: জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাপ হলো নৈপুণ্য অ্যাপ। শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন রেকর্ড সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও রিপোর্ট প্রদান স্মার্ট ও সহজ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর উদ্যোগে এবং এটুআই ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় চালু হয়েছে ‘নৈপুণ্য‘ অ্যাপ।
এই অ্যাপের মাধ্যমে সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যোগ্যতা ও পারদর্শিতার অবস্থা জানতে পারবেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক।
‘একপাস’: দেশব্যাপী সমন্বিত ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন সেবা হলো ‘একপাস’। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে টোল ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় এবং আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সব টোলপ্লাজায় গাড়ির নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এবং এটুআই এর সহযোগিতায় চালু হয়েছে ‘একপাস’।
এটি তদারকি করবে টোল অপারেটর, সড়ক বিভাগ, বিআরটিএ, সেতু বিভাগ এবং সেতু কর্তৃপক্ষ। এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজে টোল দিতে পারবেন সবাই।
| দেশের মানুষের দোরগোড়ায় ‘স্মার্ট সেবা’ পৌঁছে দিতে নতুন ৫টি ‘উদ্ভাবনী প্রকল্প’ চালু করেছে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই। এই সেবাগুলো হলো- স্মার্ট ৩৩৩; স্মার্ট ই-ট্রেড লাইসেন্স; সমন্বিত ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সেবা — ‘একপাস’; শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাপ — ‘নৈপুণ্য’ এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য স্মার্ট প্রেগনেন্সি মনিটরিং সিস্টেম। |
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারেও এখন টাকা লাগবে | জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। নিজের ছবি, ভিডিও পোস্ট করছেন নিয়মিত। প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো কোনো বিশেষ মুহূর্ত ভিডিও করে রিলসে শেয়ার করছেন।
তবে এখন মেটার এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতেও টাকা লাগবে। কয়েকদিন আগেই মেটা ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে টাকা খরচ করতে হবে ব্যবহারকারীদের। তবে এজন্য বিশেষ সুবিধাও পাবেন। বিজ্ঞাপন ছাড়াই আরাম করে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন।
ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রাম খুললেই ভারচুয়াল দেওয়ালে ফুটে ওঠে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন। ইউজারদের পছন্দ এবং সার্চের ভিত্তিতেই ভেসে ওঠে সেসব বিজ্ঞাপন। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনের ভিড় অনেকেই পছন্দ করেন না। পরিবার, বন্ধুমহলের আপডেট পাওয়ার মাঝে কিংবা কোনো ওয়েবসাইটের খবর পড়ার মাঝে অযথা বিজ্ঞাপনে বিরক্ত হন অনেকেই। এবার এই ঝামেলা শেষ হতে চললো।
একটি মাসিক প্ল্যান চালু করা হচ্ছে। তাতে রিচার্জ করলেই আর ভারচুয়াল ওয়ালের মুখ ঢাকবে না বিজ্ঞাপনে। বর্তমানে ইউরোপের ইউজারদের জন্য চালু করা হয়েছে এটি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নতুন ডিজিটাল মার্কেট আইন চালু হওয়ার পরই মেটা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডেস্কটপ থেকে মেটার অন্তর্ভুক্ত এই দুই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ১০.৪৬ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ১৫০ টাকা। গুগল অ্যাপ স্টোর এবং অ্যাপেল স্টোরেই পেমেন্ট সংক্রান্ত অ্যাপটি পাওয়া যাবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
| জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। নিজের ছবি, ভিডিও পোস্ট করছেন নিয়মিত। প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো কোনো বিশেষ মুহূর্ত ভিডিও করে রিলসে শেয়ার করছেন। |
প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে গুগল | বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ২৫তম জন্মদিন আজ (বুধবার)। ১৯৯৮ সালের এই দিনে সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজের হাত ধরে গুগলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের বিশ্বকে হাতের মুঠোয় তথ্যের ভাণ্ডার এনে দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির জগতে নিয়ে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
শুরুতে সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যাত্রা করলেও পরবর্তীতে আরও নতুন নতুন ফিচার নিয়ে গ্রাহকের কাছে হাজির হয়েছে গুগল। গুগলের পণ্য ও সবার মধ্যে রয়েছে ই-মেইল সেবা জিমেইল, মানচিত্র ওয়েজ ও ম্যাপস, ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ক্লাউড, ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার ক্রোম, ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউব, ওয়ার্কস্পেস, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, ক্লাউডে তথ্য সংরক্ষণের ড্রাইভ, অনুবাদের জন্য ট্রান্সলেট, ছবি রাখার জন্য ফটোজ, ভিডিও কল করার মিট, স্মার্ট বাড়ির জন্য নেস্ট, পিক্সেল স্মার্টফোন, পরিধেয় প্রযুক্তি পিক্সেল ওয়াচ ও ফিটবিট, গান শোনার ওয়েবসাইট ইউটিউব মিউজিক, ভিডিওর জন্য ইউটিউব টিভি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মেশিন লার্নিং এপিআই টেনসরফ্লো, এআই চিপস টিপিইউ।
ইমেইল, স্মার্টফোন, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, চালকবিহীন গাড়ি, ইউটিউব- যাত্রাপথে গুগল শত শত পণ্য ও সেবা নিয়ে কাজ করেছে এবং এখনো করছে। প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে গুগল এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। দ্রুত বিকাশমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জগতে গুগল তার শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারবে কি না, এটিই বর্তমানে প্রযুক্তি দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
জন্মদিন উপলক্ষে গুগল বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে। জন্মদিন উপলক্ষে গুগল তার ব্লগে লিখেছে- তার ব্লগে লিখেছে, আজকের ডুডল গুগলের ২৫তম বছর উদযাপন করছে। এবং যখন গুগল ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হচ্ছে, তখন জন্মদিন পেছনে ফিরে তাকানোর একটি সময় হতে পারে। আসুন আমরা ২৫ বছর আগে কীভাবে জন্মগ্রহণ করেছি তা জানার জন্য স্মৃতির পথে হাঁটা যাক।
এতে আরও লেখা হয়েছে, ১৯৮৮ সাল থেকে অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে-আজকের ডুডলে আমাদের লোগোসহ-কিন্তু আমাদের মিশন একই রয়ে গেছে; বিশ্বের তথ্য সংগঠিত করা এবং এটিকে সর্বজনীনভাবে ব্যবহারযোগ্য এবং উপযোগী করে তোলা। বিগত ২৫ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভবিষ্যৎ আমাদের কোথায় নিয়ে যায় তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করতে পারি না, একসঙ্গে।
১৯৯৮ সালে ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিনের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের। ৯০ দশকের শেষের দিকে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রোগ্রামে দেখা হয়েছিল তাদের। বর্তমানে গুগলে সিইওর দায়িত্বে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সুন্দর পিচাই।
বর্তমানে বিশ্বে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে এক মিলিয়ন সার্ভার চালায় গুগল। দিনে পাঁচশো কোটির বেশি অনুসন্ধানের জবাব দেয়। বৈচিত্র্যময় ফিচারের মধ্য দিয়ে বহুমাত্রিক এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে গুগল। ই-কমার্স, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে গুগল এখন ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি।
| বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ২৫তম জন্মদিন আজ (বুধবার)। ১৯৯৮ সালের এই দিনে সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজের হাত ধরে গুগলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের বিশ্বকে হাতের মুঠোয় তথ্যের ভাণ্ডার এনে দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির জগতে নিয়ে এসেছে আমূল পরিবর্তন। |
জাতিসংঘের এসডিজি ডিজিটাল গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড পেলো এটুআই-এর একশপ | দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দিয়ে গ্রাম ও শহরের দূরত্ব কমিয়ে আনার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘এসডিজি ডিজিটাল গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-এর উদ্ভাবনী উদ্যোগ একশপ। জাতিসংঘের দুই সংস্থা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) যৌথভাবে ‘গেম চেঞ্জার ফর প্রসপারিটি’ ক্যাটাগরিতে এটুআই এর উদ্যোগ ‘একশপ’কে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কার প্রদান করে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, এটুআই-এর হেড অব কমার্শিয়াল স্ট্রেটেজি রেজওয়ানুল হক জামি এবং এটুআই-এর প্রোগ্রাম এসোসিয়েট (আউটরীচ অ্যান্ড রিসোর্স মোবিলাইজেশন)মোঃ শাহরিয়ার হাসান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এ মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবার এই পুরস্কার প্রদান করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) যৌথভাবে এবছর পুরস্কারটি চালু করে। সারাবিশ্বের ৯০ দেশের ৪৫০টিরও বেশি ডিজিটাল উদ্যোগ থেকে ‘গেম চেঞ্জার ফর প্রসপারিটি’ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় একশপ প্ল্যাটফর্ম। এবার প্রসপারিটিসহ পিপল, প্লানেট, পিস ও পাইওনিয়ার এই ৫ ক্যাটাগরিতে ৫টি ডিজিটাল উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা হয়।
একশপ দেশের সব বড় বড় ই-কমার্স কোম্পানি এবং হাজারও ছোট, মাঝারি উদ্যোক্তাকে নিয়ে তৈরি একটি সরকারি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এতে করে গ্রামের জনগণ প্রযুক্তি সহায়তায় খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটের সাথে যুক্ত হতে পারছে।
এটুআই-এর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘একশপ’ দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষের পণ্য সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৯ সালে এর যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ১২ হাজারেরও অধিক গ্রামীণ কারিগর একশপের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করছে। ইতোমধ্যে একশপ ৮০ লক্ষেরও অধিক পণ্য ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
| দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দিয়ে গ্রাম ও শহরের দূরত্ব কমিয়ে আনার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘এসডিজি ডিজিটাল গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-এর উদ্ভাবনী উদ্যোগ একশপ। জাতিসংঘের দুই সংস্থা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) যৌথভাবে ‘গেম চেঞ্জার ফর প্রসপারিটি’ ক্যাটাগরিতে এটুআই এর উদ্যোগ ‘একশপ’কে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কার প্রদান করে। |
শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন | মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে গত ৯ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (SHIFT)’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ্, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী সন্তানদের আধুনিক ও স্মার্ট শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিবচরের মাটিতে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটে টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করে দিচ্ছেন, এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পদ্মাসেতুর পর আজকে এখানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি পার্ক হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলে বাংলাদেশ আরো উন্নত হবে। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের প্রথম গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদারীপুরের শিবচরে এই ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (শিফট) নির্মাণের কাজ শুরু হলো। তিনি বলেন, উন্নত ও আধুনিক জীবন গড়তে শিফট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মার্ট ও মডেল উপজেলা হবে শিবচর। এখান থেকে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেয়ার মতো ছেলে-মেয়ে তৈরি হবে। শত শত বছর ধরে যেভাবে অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ড, এমআইটি থেকে বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ জন্ম হয়েছে; ৭০ বছর ধরে ভারতে আইআইটি থেকে পড়াশোনা করে সুন্দর পিচাই গুগল সিইও হয়েছে তেমনি সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার মতো ভবিষ্যত বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ মেধাবী ছেলেমেয়েরা এখান থেকে তৈরি হবে।
পরে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হিসেবে স্থানীয় ওমর ফারুক ও নাসির উদ্দিন মাতবরের হাতে ভূমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণ করা হয়। এই মাসের মধ্যেই চেক হাতে পাবেন বাকি ক্ষতিগ্রস্তরা। মোট প্রায় ৭০একর জায়গার উপরে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর তিন শত দক্ষ আইটি বিশেষজ্ঞ এ প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসবে।
| মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে গত ৯ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (SHIFT)’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। |
ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ গ্লোবাল ক্যাম্পেইন উদ্বোধন | বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী শুরু হচ্ছে #জিরো_ডিজিটাল_ডিভাইড শীর্ষক এক গ্লোবাল ক্যাম্পেইন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার ও তাতে অংশগ্রহণে সমতা নিশ্চিত করতে ই-কোয়ালিটি সেন্টার চালু করছে বাংলাদেশ। সেই সেন্টার প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে ডিজিটাল বৈষম্য শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই বৈশ্বিক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল শ্রেণী-পেশার সমতা নিশ্চিতের জন্য সর্বদা কাজ করেছেন। তাঁর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইভাবে তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইন্টারনেট সেবা থেকে শুরু করে সকল ডিজিটাল সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম থেকেই একার্যক্রম শুরু করেছিলেন। যার ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে বৈষম্য অনেক কমে গেছে। দেশের নাগরিক সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে এরই মধ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে সেবা নিতে নাগরিকদের ১৯.১ বিলিয়ন দিন সময়, ২১.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ এবং ১২.৯ বিলিয়ন বার যাতায়াত কমেছে।
বাংলাদেশের প্রযুক্তিনির্ভর পাবলিক সার্ভিস উদ্ভাবন গ্লোবাল সাউথে অগ্রগামী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি ও সুযোগ তৈরি হওয়ায় এবং দক্ষিণের দেশগুলোতে জ্ঞান বিতরণ ও প্রযুক্তিগত কারিগরি সহায়তা প্রদানে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রযুক্তিগত ক্রমবর্ধমান অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল অগ্রগতিকে কার্যকরভাবে সমর্থন করেছে বাংলাদেশ। জ্ঞান সহায়তা ও উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন দূর করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার তৈরির এই উদ্যোগ আরো ত্বরান্বিত করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখছে তা এখন অনেকের চোখে উচ্চাভিলাষী মনে হতে পারে তবে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে এই দেশ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাবে।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা বলেন, ‘বাংলাদেশকে ঘিরে অনেক আশা রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আমাদের এডমিনিস্ট্রেটর আকিম স্টেইনার প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউএনডিপি-এর সাবেক এডমিনিস্ট্রেটর হেলেন ক্লার্ক কর্তৃক ২০১০ সালে চর কুকরি মুকরি থেকে সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করার কথা উল্লেখ করেন। সেই ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা এখন প্রায় ৯ হাজার।’
কান্নি উইগনারাজা আরও বলেন, ‘এখন, ইউএনডিপি-এর সাথে অংশীদারিত্বে, বাংলাদেশ সরকার আরও একটি সাহসী পদক্ষেপ ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ প্রচারণার সূচনা করছে । এই উদ্যোগ শুধু স্লোগান নয়, ডিজিটাল বিপ্লবে কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি প্রতিশ্রুতি।’
এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞার সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) চেয়ারম্যান এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং এক্সেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কমনওয়েলথ ডিসএবলড পিপলস ফোরাম (সিডিপিএফ) এর আঞ্চলিক প্রতিনিধি মহুয়া পল।
ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এটুআই-এর কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান পূরবী মতিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএনডিপি এবং এটুআইসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
| বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী শুরু হচ্ছে #জিরো_ডিজিটাল_ডিভাইড শীর্ষক এক গ্লোবাল ক্যাম্পেইন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। |
৯ম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত | ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলো আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ৯ম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব। সারাদেশ থেকে আগত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য দিনব্যাপী রাখা হয় বর্ণাঢ্য সব আয়োজন এবং বিকেলে পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে জাতীয় পর্বের আয়োজনের। স্কুল অলিম্পিয়াড এবং আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ী প্রায় পাঁচশো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্বে।
সকাল ৮টায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে প্রবেশের মাধ্যমে জাতীয় পর্বের এ আয়োজন শুরু হয়। এরপর জাতীয় অলিম্পিয়াডের পরীক্ষা পর্ব ৯টার দিকে শুরু হয়।অলিম্পিয়াডে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান হতে ২টি করে ৬টি ছোট সমস্যা এবং বড় সমস্যা তিন বিষয়ে ভাগ করে সমাধান করতে দেওয়া হয়।
অলিম্পিয়াড শেষে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের জন্য রাখা হয় বিজ্ঞান জাদুঘরের আয়োজনে বিজ্ঞান কুইজ প্রতিযোগিতা। কুইজে বিজয়ীদের দেওয়া হয় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা পুরষ্কার। এরপর শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর ভ্রমণ শেষে থাকে ভ্রাম্যমাণ সিক্স-ডি মুভি প্রদর্শনী। দুপুরের খাবার গ্রহণের পর শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় রোবট শো। সাথে থাকে বিজ্ঞান বিষয়ক মুক্ত আলোচনা এবং রোবট নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। প্রশ্নোত্তর পর্বে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বিকাল ৪টায় শুরু হয় অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহ-সভাপতি মুনির হাসান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.নোভা আহমেদ, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির আহমেদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক এ. কে. এম. লুৎফুর রহমান সিদ্দীক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্বের তিন ক্যাটাগরিতে ১২ জন চ্যাম্পিয়ন, ১৭ জন ফার্স্ট রানার-আপ, ২৩ জন সেকেন্ড রানার-আপ সহ মোট ৫২ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে আগামী ১০ থেকে ১২ই সেপ্টেম্বর আয়োজন করা হচ্ছে ৯ম বিডিজেএসও জাতীয় ক্যাম্প। সেখান থেকে আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জন্য ৬ জনের একটি দল ঘোষণা করা হবে। যারা ২০ তম আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে।
জাতীয় পর্বের ফলাফল এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিডিজেএসও এর ওয়েবসাইট www.bdjso.org এবং ফেসবুক পেজ www.facebook.com/bdjso তে।
| ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলো আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ৯ম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব। সারাদেশ থেকে আগত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য দিনব্যাপী রাখা হয় বর্ণাঢ্য সব আয়োজন এবং বিকেলে পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে জাতীয় পর্বের আয়োজনের। স্কুল অলিম্পিয়াড এবং আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ী প্রায় পাঁচশো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্বে। |
হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা আসছে | এক ফোনে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা দেবে হোয়াটসঅ্যাপ। বর্তমানে একটি ফোনে শুধু একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যায়। নতুন ফিচারে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধাটি পাওয়া যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড বেটা ভার্সনে এই ফিচার পরীক্ষা করছে মেটা। ওয়েবেটাইনফোর এক প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, এই ফিচার চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকেই অন্য অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা যাবে।
অ্যাকাউন্টের চ্যাট এবং নোটিফিকেশনও আলাদা রাখা হবে। ব্যবহারকারীরা সুইচ করে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে যেতে পারবেন। এই ফিচার চালু হলে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের জন্য থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে না।
তবে একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ কতগুলো অ্যাকাউন্ট যোগ করা যাবে তা এখনো জানা যায়নি।
নতুন এই ফিচার ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপের ইন্টারফেসও বদলে যাওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে। এই ইন্টারফেসের মধ্যে থাকবে বিভিন্ন অপশন যেমন- চ্যাট, স্ট্যাটাস এবং অন্যান্য ট্যাব। নতুন ডিজাইনে এই আইকনগুলোর পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি কমিউনিটি অপশনের জন্য নতুন ট্যাব খোলার চিন্তাও রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের।
এছাড়া চ্যাট অপশনের উপরে অল, আনরিড, পার্সোনাল, বিজনেস ইত্যাদি ফিল্টার যোগ করা হতে পারে।
| এক ফোনে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা দেবে হোয়াটসঅ্যাপ। বর্তমানে একটি ফোনে শুধু একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যায়। নতুন ফিচারে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধাটি পাওয়া যাবে। |
হোয়াটসঅ্যাপে ‘এইচডি কোয়ালিটি’র ছবি পাঠানোর সহজ পদ্ধতি | বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম— হোয়াটসঅ্যাপের অন্তত দুই বিলিয়ন ব্যবহারকারী আছে। এতদিন জনপ্রিয় এ মাধ্যমটিতে শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটির ছবি পাঠানো যেত। এখন থেকে আপনি চাইলে ‘এইচডি কোয়ালিটি’র ছবিও পাঠাতে পারবেন। বাই-ডিফল্ট অপশন আপনার জন্য খুব হতে পারে। এই অপশনটি সিলেক্ট করে রাখলে আপনি যেমন হাই-ডেফিনিশন ছবি পাঠাতে পারবেন, আবার আপনার কাছেও একই রেজুলেশনের ছবি আসবে।
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য এ অপশনটি আগেই ছিল। ডকুমেন্ট হিসেবে আগে হাই-ডেফিনিশন ছবি পাঠানো যেত। কিন্তু আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এ সুবিধা ছিল না। বর্তমানে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড দুই ব্যবহারকারীরাই এ সুবিধা পাবেন। এখন থেকে ৩০২৪/৪০৩২ রেজুলেশনের ছবি পাঠানো যাবে। যা আগের স্ট্যান্ডার্ডে ছিল ৯২০/১২৮০।
যেভাবে ‘এইচডি কোয়ালিটি’র ছবি পাঠাবেন
প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে একটি চ্যাট বক্স ওপেন করুন। পরে ফোনের নীচের দিকে অ্যাড অ্যাটাচমেন্ট আইকন (আইফোনের ক্ষেত্রে + আইকন) বাটনে ক্লিক করুন। এবার গ্যালারি আইকনে ট্যাপ করে আপনার ফোনের গ্যালারি থেকে ছবি সিলেক্ট করুন। এবার স্ক্রিনের উপর এইচডি ও স্ট্যান্ডার্ড দুটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে পছন্দের কোয়ালিটি নিয়ে চূড়ান্ত অপশনে ট্যাপ করুন। এবার সেন্ড বাটনে ক্লিক করে ছবি পাঠিয়ে দিন।
| বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম— হোয়াটসঅ্যাপের অন্তত দুই বিলিয়ন ব্যবহারকারী আছে। এতদিন জনপ্রিয় এ মাধ্যমটিতে শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটির ছবি পাঠানো যেত। এখন থেকে আপনি চাইলে ‘এইচডি কোয়ালিটি’র ছবিও পাঠাতে পারবেন। বাই-ডিফল্ট অপশন আপনার জন্য খুব হতে পারে। এই অপশনটি সিলেক্ট করে রাখলে আপনি যেমন হাই-ডেফিনিশন ছবি পাঠাতে পারবেন, আবার আপনার কাছেও একই রেজুলেশনের ছবি আসবে। |
অনুমোদনহীন বেতার যন্ত্র বেচাকেনা,সতর্ক করল বিটিআরসি | দেশে অনুমোদনহীন বেতার যন্ত্র ‘বেচাকেনা’ আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্ক বার্তা দেয় বিটিআরসি।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিটিআরসির অনুমোদনের বাইরে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বেতার যন্ত্র (সেট টপ বক্স, স্যাটেলাইট রিসিভার, রিফ্লেকটরসেট, এ্যান্টিনা, এলএনবি, ট্রান্সমিটার, এ্যামপ্লিফায়ার, মডুলেটর, স্যাটেলাইট ফ্রিকোয়েন্সি কনভার্টার) আমদানি বা প্রস্তুত করছে। এছাড়া দেশি ও বিদেশি অনলাইন পোর্টাল, দেশীয় ইলেক্ট্রনিক্স বাজার অথবা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে ক্রয় ও বিক্রয় করছে। যা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০১০)-এর ধারা ৫৫ (১) অনুযায়ী একটি দ-নীয় অপরাধ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ এসব বেচাকেনা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
| দেশে অনুমোদনহীন বেতার যন্ত্র ‘বেচাকেনা’ আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্ক বার্তা দেয় বিটিআরসি। |
ইনস্টাগ্রামের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ১০ লাখ টাকা হারালেন তরুণী! | নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে বাড়ছে অভিনব প্রতারণা। এবার ইনস্টাগ্রামের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ১০ লাখ টাকা হারিয়েছেন এক তরুণী।
ভারতের মেঙ্গালুরুর সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের এক তরুণী ইনস্টাগ্রামে লোভনীয় আয়ের বিজ্ঞাপন খুঁজে পান। যে বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, “আপনি উপার্জন করতে পারেন।”
অতিরিক্ত আয়ের ইচ্ছে থেকে সেই বিজ্ঞাপনে দেওয়া লিংকে ক্লিক করেন তিনি। সেখান থেকে ই-মেইলে আসে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। কাজ করার ইচ্ছার কথা সেখানে জানাতেই তাকে টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে একজনকে মেসেজ দিতে বলা হয়। এরপর টেলিগ্রামে সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন তরুণী।
ওই ব্যক্তি জানান, আপনি যত ইনভেস্ট করবেন তার ৩০ শতাংশ বেশি ফেরত পাবেন। তার আশ্বাসে প্রথমে অনলাইনে ৭০০০ টাকা পাঠান ওই তরুণী। প্রতিশ্রুতি মতো ৯১০০ টাকা ফেরত পান। এই লোভে আরও বেশি টাকা পাঠান। তাতেই ঘটে বিপত্তি। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে চলে যায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্টটাইম চাকরির নামে মোটা অঙ্কের আয়ের লোভ দেখিয়েই তরুণ প্রজন্মকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে স্ক্যামাররা। তাই অপরিচিত কোন লিংকে ক্লিক করা কিংবা কোন ব্যক্তিকে অনলাইন পেমেন্ট করার আগে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের সাথে আলোচনা করুন।
| নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে বাড়ছে অভিনব প্রতারণা। এবার ইনস্টাগ্রামের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ১০ লাখ টাকা হারিয়েছেন এক তরুণী। |
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণীতে শরীফার গল্প থাকছে | সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে শরীফার গল্পটি থাকছে। এটিতে ভাষাগত নূন্যতম পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ওই গল্পে ‘বিতর্কের’ কিছু পাচ্ছেন না। সপ্তম শ্রেণীর ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ে পাঠের অংশ হিসেবে ‘শরীফার গল্প’ রাখা হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ নামক একটি অধ্যায়ে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ নামের একটা গল্প যুক্ত করা হয়েছে। নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিল।
এরপর গল্পটি পর্যালোচনার পাশাপাশি এ বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য গত ২৪ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রায় তিন মাসের মাথায় এ কমিটি তাদের প্রতিবেদন ‘চূড়ান্ত’ করতে যাচ্ছে; তাতে গল্পটি পাঠ্যক্রমে রাখার সুপারিশ থাকছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পাঁচ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ইসলামী আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইআরবি) উপাচার্য আবদুর রশীদ সোমবার (২২ এপ্রিল) সংবাদকে বলেন, ‘আমরা খুব শীঘ্রই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেব। আমরা পাঁচজন সম্মিলিতভাবে মতামত দেব। এনিয়ে কাজ চলছে।’
শরীফার গল্প রাখার সুপারিশ করা হচ্ছে-কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবার মতামত ছাড়া আমি কীভাবে বলি?’
এ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান। কমিটির তিন সদস্য হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর কফিল উদ্দীন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা সরকারি আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ।
কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে জানিয়েছেন, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের পক্ষ্য থেকে নতুন শিক্ষাক্রম সর্ম্পকে কিছু ‘প্রশ্ন’ উত্থাপন করা হয়েছিল। অথচ কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সরকার স্বীকৃত আলিয়া মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমের কোনো মিল নেই।
ওইসব কর্মকর্তা জানান, কওমি মাদ্রাসায় যেসব বিষয় বা পাঠ্যক্রম রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে সরকারি প্রশাসনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সাধারণ শিক্ষায় যে পাঠ্যক্রম পড়ানো হচ্ছে সেগুলোও কওমি মাদ্রাসায় পড়ানো হয় না। এ কারণে সাধারণ শিক্ষাক্রম নিয়ে কওমি আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আপত্তিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ শিক্ষা প্রশাসন। ‘শরীফ থেকে শরীফার’ গল্প নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করা হচ্ছে বলে শিক্ষা প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, সরকার ‘ট্রান্সজেন্ডারকে’ স্বীকৃতি (২০১৩ সালে) দিয়েছে, কারণ তারা সমাজেরই অংশ।
বইটি তিনবার ‘রিভিউ’ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বই রিভিউয়ের সময় ‘ইনক্লুশন স্পেশালিস্ট, জেন্ডার স্পেশালিস্ট’ ছিলেন। তারা সবকিছু দেখে বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন। বইতে যা দেয়া হয়েছে, তা ‘সময়ের প্রয়োজন’ বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফেনী সমিতি মিলনায়তনে সংগঠনের আমির শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন-২০২৩ (খসড়া)’ বাস্তবায়ন না করার দাবি জানান।
তারা বলেন, এ আইনটিকে যদিও হিজড়া সম্প্রদায়ে অধিকার সুরক্ষা আইন মনে করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসলে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়।
হেফাজত নেতাদের দাবি, পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প আছে। এই ধরনের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প পাঠ্যবইয়ে ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের ‘মগজধোলাই’ করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত মূল্যায়ন কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে জানিয়েছেন, ‘শরীফ থেকে শরীফা’র গল্পের বিষয়টি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অথচ এ গল্প নিয়ে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকরা আপত্তির কিছু পাচ্ছেন না।
মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বেরচলতি শিক্ষাবর্ষে ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। এবার ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। ইতোমধ্যে শিক্ষাবর্ষের প্রায় চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান ঘটেনি।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে গত ৫ মার্চ একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৪ সদস্যের এই কমিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ বা মতামত দেবে। এ কমিটি পাবলিক পরীক্ষাসহ মূল্যায়ন পদ্ধতি পর্যালোচনা করে তা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে সুপারিশ করবে।
এছাড়া পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, সংশোধন, পরিমার্জন এবং নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় পর্যালোচনা ও সুপারিশ দিতে পারবে এ কমিটি। এ কমিটির সর্বশেষ সভা গত ২১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘সভায় চূড়ান্ত কিছুই হয়নি। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সর্ম্পকে একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়েছিল। এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত এসেছে। এগুলো নিয়ে এখন কাজ চলছে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) আহ্বায়ক ও একই বিভাগের যুগ্ম-সচিবকে (সরকারি মাধ্যমিক অধিশাখা) ওই মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে ১২টি বোর্ড, অধিদপ্তর ও উন্মমুক্ত বিশ^বিদ্যালয় থেকে একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিকের ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে ৯ম শ্রেণীতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজনও থাকছে না।
২০২৫ সালে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণীতে উঠবে, ওই সময়ও বিভাগ বিভাজনের সুযোগ থাকবে না। ২০২৬ সালে এ শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
কী আছে শরীফার গল্পে
সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ ১৬ পৃষ্ঠার এই অধ্যায়ে শরীফার গল্প আছে দুই পাতাজুড়ে। ৩৭৪ শব্দের এই গল্পে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী সম্পর্কে বলা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য, এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরদের সচেতন করা।
শরীফার গল্পের প্রধান চরিত্রের নাম দুটো- শরীফ এবং শরীফা। শরীফ আহমেদ এক সময়ে শরীফা আকতার হয়ে যান, যিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
গল্পটা এরকম, শরীফাদের শ্রেণী শিক্ষকের ডাক নাম খুশি, তাকে শিক্ষার্থীরা খুশি আপা হিসেবে সম্বোধন করে। তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের খেলার ছলে ‘সম্প্রদায়’ সম্বন্ধে শেখাচ্ছেন।
খুশি সেদিন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য লিখে শ্রেণী কক্ষের বিভিন্ন জায়গায় সাঁটিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর তিনি নিজ সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্যকে চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে বলেন। শিক্ষার্থীরা সহজভাবে একটা কঠিন বিষয় সমন্ধে জানতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত।
শিক্ষার্থীরা যাতে কাছ থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে দেখতে পারে, তাই তিনি পরদিন ক্লাসে একজন অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। যার নামই শরীফ ওরফে শরীফা। এখান থেকেই গল্পের শুরু। শরীফা এ স্কুলেরই এক সাবেক শিক্ষার্থী।
তাকে খুশি আপা পরিচয় করিয়ে দেন, ‘ইনি ছোটবেলায় তোমাদের স্কুলে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। আজ এসেছেন, নিজের স্কুলটা দেখতে।’ এরপর শরীফা শিক্ষার্থীদের নিজের পরিচয় জানিয়ে বলেন, ‘যখন আমি তোমাদের স্কুলে পড়তাম তখন আমার নাম ছিল শরীফ আহমেদ।’
তখন আনুচিং নামের এক শিক্ষার্থী অবাক হয়ে জানতে চায়, শরীফা কীভাবে মেয়ে হলো? তখন শরীফার উত্তর ছিল, ‘আমি তখনও যা ছিলাম, এখনও তাই আছি। নামটা কেবল বদলেছি।’
তখন শরীফা বলেন, ‘ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলত। কিন্তু আমি নিজে একসময়ে বুঝলাম, আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে।’
শরীফা বলেন, ‘মেয়েদের সঙ্গে খেলতেই আমার বেশি ইচ্ছে করত। কিন্তু মেয়েরা আমাকে খেলায় নিতে চাইত না। ছেলেদের সঙ্গে খেলতে গেলেও তারা আমার কথাবার্তা, চালচলন নিয়ে হাসাহাসি করত। স্কুলের সবাই, পাড়া-পড়শি এমনকি বাড়ির লোকজনও আমাকে ভীষণ অবহেলা করত। আমি কেন এ রকম একথা ভেবে আমার নিজেরও খুব কষ্ট হতো, নিজেকে ভীষণ একা লাগত।’
বারবার অবহেলিত হওয়ার কথা তুলে ধরে শরীফা বলেন, ‘একদিন এমন একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো যাকে সমাজের সবাই মেয়ে বলে, কিন্তু সে নিজেকে ছেলে বলেই মনে করে। আমার মনে হলো, এই মানুষটাও আমার মতন। সে আমাকে বলল, আমরা নারী বা পুরুষ নই, আমরা হলাম তৃতীয় লিঙ্গ (থার্ড জেন্ডার)।’
গল্পে শরীফার ভাষ্য, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীরও ইচ্ছে করে সমাজের আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন কাটাতে, পড়াশোনা, চাকরি, ব্যবসা করতে। কিন্তু ২০১৩ সালে সরকার তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু মানুষ এখনও তাদের সঙ্গে মিশতে চায় না, যোগ্যতা থাকলেও কাজ দিতে চায় না।
এই গল্পে সমকামিতা বা ট্রান্সজেন্ডার সর্ম্পকে কোনো কিছু বলা নেই। সপ্তম শ্রেণীর বইয়ের এ অধ্যায়ে বেদে সম্প্রদায় ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের নিয়েও আলাদা পাঠ আছে। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন ভাষা ও ধর্মের মানুষের গল্প এই বইতে উঠে এসেছে।
| সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে শরীফার গল্পটি থাকছে। এটিতে ভাষাগত নূন্যতম পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ওই গল্পে ‘বিতর্কের’ কিছু পাচ্ছেন না। সপ্তম শ্রেণীর ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ে পাঠের অংশ হিসেবে ‘শরীফার গল্প’ রাখা হয়েছে। |
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও দ্রুত সেবা প্রদানে নির্দেশ | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণ, সহজীকরণ ও সেবা প্রার্থীদের দ্রুত সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা যেন না হয়। পাশাপাশি এসবের মানোন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সকল ধরনের সেবা যেন শিক্ষার্থীরা কম সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের হয়রানির স্বীকার না হয়ে পেতে পারে সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। সকল দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় করে দ্রুত সেবা ডেলিভারি দিতে হবে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব নির্দেশনা দেন উপাচার্য।
উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশনে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষকদের যুক্ত করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এসব ক্ষেত্রে যুক্ত করে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। এসব কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন ক্লাসমুখী হয় সেজন্য শ্রেণিকক্ষ আনন্দময় করা জরুরি।
এজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন,
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, নতুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মেজবাহ্ উদ্দিন, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) দপ্তরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার দপ্তরের
পরিচালক জয়ন্ত ভট্টাচার্য্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ ও আইসিটি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
| জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণ, সহজীকরণ ও সেবা প্রার্থীদের দ্রুত সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। |
তাপদাহের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস , মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিত | প্রচন্ড তাপদাহের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন৷ এছাড়া, আগামী ২ মে পর্যন্ত সকল বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে ৮০ তম একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
তিনি বলেন, আগামী ২ মে পর্যন্ত সকল বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, রুটিন অনুযায়ী ক্লাসগুলো অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষাসমূহ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণীকক্ষে নেওয়া হবে। পাশাপাশি, অফিস পূর্বের নিয়মেই চলবে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা অর্ধেক চলমান থাকবে।
সারাদেশে প্রচন্ড তাপদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত ২০ এপ্রিল সাতদিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
| প্রচন্ড তাপদাহের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন৷ এছাড়া, আগামী ২ মে পর্যন্ত সকল বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব-শরীরেই চলবে ক্লাস-পরীক্ষা | সারাদেশের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপদাহ। এরইমধ্যে গতকাল (শনিবার) থেকে দেশের স্কুল কলেজ সাতদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, স্ব-শরীরে ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সারাদেশে চলমান হিটওয়েভের কারনে গতকাল থেকে দেশের স্কুল কলেজ আগামী ১ সপ্তাহ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেই ঘোষণার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের মধ্যে একটি উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। আজ রবিবার মাননীয় উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা যথারীতি চলবে।
এদিকে আজ (রবিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলমান তাপদাহের কারনে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
| সারাদেশের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপদাহ। এরইমধ্যে গতকাল (শনিবার) থেকে দেশের স্কুল কলেজ সাতদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, স্ব-শরীরে ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। |
গরমের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সকল কলেজের ক্লাস বন্ধ | তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল কলেজের ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন : গরমের কারণে সব সরকারি স্কুল, কলেজ আরও ৭ দিন বন্ধ
| তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল কলেজের ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। |
তৃতীয় দফায় তিনদিন শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনে ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির | সাত দফা দাবি না মানায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি তৃতীয়বারের মতো সেমিস্টার পরীক্ষা ছাড়া বাকি সকল শ্রেণী কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নানাবিধ অপ্রীতিকর ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতি মাননীয় উপাচার্য বরাবর ০৭ টি দাবি উপস্থাপন করে। দাবিসমূহ ১৮ মার্চের মধ্যে বাস্তবায়িত না হওয়ায় গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম গত ০৪ এপ্রিল পর্যন্ত চালু থাকলেও শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ প্রশাসন কর্তৃক গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক সমিতি আশা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান যে সংকট, সেগুলো দূরীকরণের জন্য মাননীয় উপাচার্য শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে ডাকবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিবেশকে স্বাভাবিক করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
শিক্ষক সমিতি বিস্ময়ের সহিত লক্ষ করছে যে, মাননীয় উপাচার্য সংকট সমাধানের ন্যূনতম কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি বরং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অনবরত মিথ্যাচারের মাধ্যমে শিক্ষকদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মানমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন।
তাই শিক্ষক সমিতি বাধ্য হয়ে গত ৩ এপ্রিল কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভা আহ্বান করে। উক্ত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আগামী ২৩ এপ্রিল সাধারণ সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণ সভায় শিক্ষকদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে এবং ক্লাস কার্যক্রম বিরতির চলমান কর্মসূচি সভার আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে চলমান চূড়ান্ত পরীক্ষাসমূহ পূর্বের ন্যায় এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, গত ৪ তারিখ পর্যন্ত অফিস কার্যক্রম চলমান ছিল। আমরা ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম আমাদের দাবিগুলো উপাচার্য মেনে নিন কিনা। কিন্তু তিনি কোনো সমাধানের দিকে না গিয়ে বরং বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি শিক্ষকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষক সমিতি ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষকদেরকে শ্রেণী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। আমরা ২৩ তারিখ শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি সাধারণ সভা করব। সে সভায় পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এই ক্লাস বর্জন প্রক্রিয়ায় মিডটার্ম, এসাইনমেন্ট এগুলো অন্তর্ভুক্ত কিনা এই প্রশ্নের জবাবে সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, চূড়ান্ত পরীক্ষা (সেমিস্টার) হবে, তবে বাকি মিডটার্ম বা প্রেজেন্টেশন এসাইনমেন্ট সকল বিষয়ই এর অন্তর্ভুক্ত।
এর আগে ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) এক জরুরি সাধারণ সভায় সাত দফা দাবি ও তিন সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়। একই দিনে প্রথমবারের মতো ১৩ ও ১৪ মার্চ শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৮ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো ১৯ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
| সাত দফা দাবি না মানায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি তৃতীয়বারের মতো সেমিস্টার পরীক্ষা ছাড়া বাকি সকল শ্রেণী কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। |
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তির আবেদনের ২য় মেধা তালিকা প্রকাশ | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমে ১ম মেধা তালিকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিষয় পরিবর্তন ও ২য় মেধা তালিকা আজ ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল ৪টায় প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফল এসএমএস (হঁ<ংঢ়ধপব>ধঃযহ<ংঢ়ধপব>ৎড়ষষ হড় টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে) এর মাধ্যমে
একইদিন বিকাল ৪টা থেকে এবং ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে (িিিি.িহঁ.ধপ.নফ/ধফসরংংরড়হং) রাত ৯টা থেকে পাওয়া যাবে।
২য় মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কোন শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখের মধ্যে
পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করে অনলাইনে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ করতে হবে। অন্যথায় দ্বৈত ভর্তির কারণে শিক্ষার্থীর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে। ২য় মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত কোন শিক্ষার্থী তার বিষয় পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে তাকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমে বিষয় পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ঘরে ণবং অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে বিষয় পরিবর্তন করা হবে।
| জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমে ১ম মেধা তালিকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিষয় পরিবর্তন ও ২য় মেধা তালিকা আজ ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল ৪টায় প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফল এসএমএস (হঁ<ংঢ়ধপব>ধঃযহ<ংঢ়ধপব>ৎড়ষষ হড় টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে) এর মাধ্যমে |
বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে অব্যাহতি | বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তার জায়গায় নতুন ডিএসডব্লিউ হিসেবে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার তাকে ডিএসডব্লিউর অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে বুয়েট প্রশাসন।
বুয়েটের রেজিস্টার অধ্যাপক মো. ফোরকান উদ্দিনের সই করা ওই অফিস আদেশে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমানকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক আল আমিন সিদ্দিকের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিককে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হল। তিনি অতিরিক্ত এ দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মানুযায়ী ভাতা ও সুযোগ-সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ৩০ জুন থেকে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি।
গত ২৮ মার্চ গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ একদল নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা যে ছয় দফা দাবি জানিয়েছিলেন, তার মধ্যে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালককে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও ছিল।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর হলের সিট বাতিল করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, রাব্বীই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের সমাগম ঘটিয়েছিলেন।
পরে রাব্বীর রিট আবেদনে হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয় হাই কোর্ট। তার আলাদা আবেদনে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করে উচ্চ আদালত। তাতে প্রকৌশল শিক্ষার এই বিদ্যাপীঠে ছাত্র রাজনীতি ফেরার পথ খোলে।
| বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। |
এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু মঙ্গলবার, চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত | ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩০ জুন। এই পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল), চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত।
কোনো বিভাগের জন্য কত ফি
শিক্ষা বোর্ডগুলো বলছে, বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের মোট ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ হবে।
পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হবে।
অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।
| ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩০ জুন। এই পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল), চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। |
স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরন | শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সুযোগ্য প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন এর সম্মানীত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সমীর কুমার রজক দাস, সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী ও সম্মানীত সহ-সভাপতি মীর মুয়াজ্জেম হুসেন সহ এসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
| শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সুযোগ্য প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরন করেন। |
রাবি-চবির অধিভুক্ত হল ৯ সরকারি কলেজ | এবার রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ৯ টি সরকারি কলেজ।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই ৯টি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অনুশাসনটি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ যেমন বিধিবিধান সংশোধন (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য করণীয় বিষয় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী জেলার ৪টি সরকারি কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করা হয়েছে। কলেজগুলো হলো: রাজশাহী সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ ও নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজ।
একইভাবে চট্টগ্রাম জেলার ৫টি কলেজ অধিভুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজগুলো হলো: চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।
এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
| এবার রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ৯ টি সরকারি কলেজ। |
১১ মের মধ্যেই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ | চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মূল পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও একই সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে। আমরা ১১ মের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছি। চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রীর সময়সূচির প্রয়োজন।
এদিকে, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির একজন সদস্য ও একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ১২ মার্চ এসএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেই হিসাবে ১২ মের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে হবে।
তিনি বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পরীক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমাও দেওয়া হয়েছে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য। তারা মূল্যায়ন শেষে বোর্ডে পাঠাবেন। তারপর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। সেটা ১১ মের মধ্যেই হওয়ার স ম্ভাবনা শতভাগ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩-২০ মার্চের মধ্যে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
| চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন। |
নতুন শিক্ষাক্রম : আগের ধাচেই শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ’র | নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবই ও বিষয়ে নাম পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এনটিআরসিএ পুরনো নাম ও পদবিতেই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসছে। তারা মাউশি, এনসিটিবি ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় না করেই সম্প্রতি প্রায় ৯৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নজরে আনেন এনসিটিবি, মাউশি ও অন্য সংস্থার কর্মকর্তারা। এ কারণে শিক্ষক নিয়োগের এই গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গতকাল ৩ এপ্রিল এনটিআরসিএ’র শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট একাধিব কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
২০২৩ সালে প্রথম শ্রেণী, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে এই শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হচ্ছে।
২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। সেই আলোকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু ‘জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয় কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন সেভাবে আমলে না নিয়ে পুরনো শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা (শিক্ষক তৈরি) নিয়ে আসছে। সেই তারা আলোকে শিক্ষক নিয়োগও দিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের’ (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সংবাদকে বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারির আগে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি, মতামতও নেয়া হয়নি এনটিআরসিএ’র পক্ষ্য থেকে। আমাদের সঙ্গে অ্যালাইন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করলে ভালো হতো।’
এনটিআরসিএ গত ৩১ মার্চ ৯৬ হাজার ৭৩৬ জনকে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পঞ্চম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) প্রবেশ পর্যায়ে শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট পদে নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইন আবেদন আহ্বান করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল ও কলেজের জন্য ৪৩ হাজার ২৮৬ জন এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ জনসহ মোট ৯৬ হাজার ৭৩৬ জন নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান বৃহস্পতিবার সংবাদকে বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে কিছু সাবজেক্টের (বিষয়) নাম, পদবি চ্যাঞ্জ (পরিবর্তন) হয়েছে। এসব পদে...বিষয়ে সেভাবে শিক্ষক নিয়োগ পেলে এমপিওনীতিমালা অনুযায়ী তাদের এমপিও পেতে সমস্যা হতে পারে।’
তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘চিঠি’ বা নির্দেশ পেলে ‘সম্পূরক বিজ্ঞপ্তি’ জারি করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করবো। তারা যেভাবে চিঠি দেবে আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নেবো। প্রয়োজনে বিষয়, পদবি চ্যাঞ্জ করে সম্পূরক বিজ্ঞপ্তি দেবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম....বিষয়টি একটু অন্যরকম। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষকতো নেই। আমাদের নিবন্ধন পরীক্ষায় যারা পাস করেছে....যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে এসেছে। আমরা তাদেরই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করবো।’
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সেভাবে নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়া হয়নি উল্লেখ করে এনটিআরসিএ সচিব বলেন, ‘যেমনটা সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বাস্তবায়নের সময়ও করা হয়নি।’
এ কারণে ‘নিবন্ধনধারী’ শিক্ষকদের মধ্য থেকেই শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলে যোগদানের পর এদের শেখাতে হবে; প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
এনটিআরসিএ’র বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীর যোগ্যতা সর্ম্পকে বলা হয়েছে, আবশ্যিকভাবে আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে, এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা-২০০৬ (সংশোধিত ২০১৫) এর বিধি ১০(১) মোতাবেক বৈধ সনদধারী হতে হবে। প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন।
কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে বিভিন্ন বিষয়ের নাম পরিবর্তন হয়েছে। এই নাম ও পদবি পরিবর্তনের বিষয় এনটিআরসিএ’র গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে নিয়োগ পেলেও তাদের এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা বেতনের সরকারি অংশ) পেতে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন।
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে মোট ১০টি করে বই পাঠদান হচ্ছে। বইগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।
বিষয় ও পদবি পরিবর্তন সর্ম্পকে এনটিআরসিএ’র বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকলে ভালো হয় মন্তব্য করেন মাউশির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম আবদুল খালেক।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সাবজেক্ট ও পদবি পরিবর্তনের কারণে এমপিওভুক্তিতে ছোটখাটো কিছু সমস্যা হচ্ছে। আবার কোনো বিষয় ও পদবি পরিবর্তন হয়ে কী নাম হয়েছে সেটিও আমরা জানি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক বিষয়ে লেখাপড়া সম্পন্ন করে অন্য বিষয়ের শিক্ষক হতে চান।’
এ ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তিতে সমস্যা হয় জানিয়ে আবদুল খালেক বলেন, ‘ফার্মেসিতে লেখাপড়া করে ভৌতবিজ্ঞান অর্থাৎ ফিজিকস ও ক্যামিস্ট্রির শিক্ষক হতে চান। আবার কেউ কেউ থ্রিফলই (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয়ে লেখাপড়া করে ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক হতে চায়।’
এর আগে এনটিআরসিএ ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। এতে শূন্যপদ ছিল ৬৮ হাজার ৩৯০টি। সবকটি পদই ছিল এমপিওভুক্ত। ওই গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয় গত বছরের ১২ মার্চ। এতে ৩২ হাজার ৪৩৮ প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়।
পরে পুলিশ ভেরিফিকেশন, বয়স বিবেচনা ও সনদ যাচাই শেষে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ২৭ হাজার ৭৪ প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।
| নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবই ও বিষয়ে নাম পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এনটিআরসিএ পুরনো নাম ও পদবিতেই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসছে। তারা মাউশি, এনসিটিবি ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় না করেই সম্প্রতি প্রায় ৯৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। |
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে ফি আদায় করলে ব্যবস্থা | এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
আগামী ৩০ জুন চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নেওয়া এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়, “টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না। পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে মানার নির্দেশ দিয়ে ঢাকা বোর্ড বলেছে, “অন্যথায় প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
| এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। |
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট | বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এই আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক, অ্যাডভোকের নুরুল ইসলাম সুজন, ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ।
এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন। শিক্ষা সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বুয়েটে প্রবেশকে ঘিরে আন্দোলন-পালটা আন্দোলন শুরু হয়। এ অবস্থায় রোববার প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে বুয়েটে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। দুপুর আড়াইটার দিকে প্রায় কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে বুয়েট শহিদ মিনারে ফুল দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ফুল দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বুয়েট ত্যাগ করেন তারা। এ সময় বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুয়েট ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্থান ত্যাগ করলেও ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীরা এরপরও বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন এবং ছবি তোলেন। তবে তারা কোনো স্লোগান দেননি।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র রাজনীতিকে ফেরানোর দাবি নিয়ে বুয়েটে প্রবেশ করলেও তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
বুয়েটে জোরালোভাবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি ওঠে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশে সক্রিয় আবরারকে শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। সহপাঠী হত্যার প্রতিবাদে টানা আন্দোলন শুরু করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সব ধরনের ক্রিয়াশীল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে।
| বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এই আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। |
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ | বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় দেশব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেওয়া ও নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানাচ্ছে ছাত্রলীগ। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।
ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে, বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মাদ্রাসায় মানববন্ধন আয়োজনের কথা জানানো হয়।
আগামীকাল বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
| বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। |
তিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন ক্যাম্পাসে চলছে পাল্টাপাল্টি মহড়া | কোচিং ‘বাণিজ্য’ ও গভর্ণিং বডির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কয়েকটি পক্ষ্যের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলছে। স্কুলের তিন ক্যাম্পাসে চলছে মহড়া ও পাল্টা মহড়া। ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্যের স্বার্থে শিক্ষকদের একটি বড় অংশই দলাদলিতে জড়িয়ে পরছেন বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন।
আগামী ১৯ এপ্রিল ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন-২০২৪’ হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিভাবকদের একটি পক্ষ্য নির্বাচন স্থগিদের দাবি জানিয়েছেন। অপর পক্ষ্যটি যথাসময়ে নির্বাচনের পক্ষ্যে।
কোচিং কার্যক্রমে বিতর্ক:
নতুন শিক্ষাক্রমে কোচিং বাণিজ্যকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। স্কুলভিত্তিক কোচিং কার্যক্রম বন্ধের কথাও বলা হচ্ছে শিক্ষা প্রশাসন থেকে। যদিও একটি কোচিং সেন্টারের (সেইফ কোচিং) মালিক গভর্ণিং বডির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি এর আগেও প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডির সদস্য ছিলেন। এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সেইফ কোচিং সেন্টারের মালিক শাহদাৎ হোসেন ঢালী বলেন, কোচিং সেন্টারের মালিক হয়ে গভর্ণিং বডির নির্বাচনে অংশ নিতে আইনী কোনো বাধাঁ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এই ধরণের কোন শর্ত আরোপ করেনি।
এরপরও এই বিতর্ক এড়াতে ‘সেইফ কোচিং’ সেন্টারের মালিকানা তার স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে দাবি করেন শাহাদাৎ ঢালী।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেন, ‘কে কোচিং পরিচালনা করছে, কী ব্যবসা করছে সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের দেখার বিষয় সে প্রকৃত অভিভাবক কী না।’
তবে কেউ যদি কোচিং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগপত্র দেয় তখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।
একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, তিন বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইডিয়াল স্কুলের তিনটি শাখার ১৮৬ জন কোচিংবাজ শিক্ষকের তালিকা করেছিল। এর মধ্যে কয়েকজনকে বিভিন্ন সময়ে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। ওইসব শিক্ষক গভর্ণিং বডির নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে।
নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক:
অন্যদিকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে চাওয়া প্রতিষ্ঠানটির সমাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মাকসুদা আক্তারকে ফরম কিনতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মাকসুদা আক্তার সাময়িক বরখাস্ত আছে। এ কারণে তাকে ফরম দেওয়া হয়নি। যদিও উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় এক মাসের মধ্যে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাকসুদা আক্তার বলেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকার পরও তাকে সদস্য পদের মনোনয়ন ফর দেওয়া হয়নি। সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি অধ্যক্ষ।
তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও ‘গভর্নিং বডির নির্বাচন-২০১৪’ কমিশনের প্রিজাডিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। এর পরও তাকে ফেরম দেওয়া হয়নি বলে মাকসুদা আক্তারের অভিযোগ।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির আজীবন দাতা সদস্য কাজী তৌহিদুজ্জামান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করেছেন, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন-২০২৪’ এর দাতা ভোটার তালিকা হাল নাগাদের জন্য আবেদনকারী ৯৮ জন আজীবন দাতা সদস্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি গত ১৩ মার্চ অধ্যক্ষকে তদন্তের বিষয়ে জানানোর পরও তিনি নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার জন্য ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভোটার তালিকা পাঠান।
এর পর গত ২০ মার্চ তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্তের জন্য স্কুলে উপস্থিত থেকে অধ্যক্ষ ও তিন জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নিয়েছেন। ৯৮ জন দাতা সদস্যকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে যদি কোনও তথ্য উপাত্ত থাকে তাহলে সেগুলো নিয়ে অধ্যক্ষকে গত ২৫ মার্চ শিক্ষা বোর্ডে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর আগেই গত ১৯ মার্চ তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
আইডিয়াল স্কুল অভিভাক ঐক্য ফেরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা না মেনে ‘শাখা ক্যম্পাস’ আলাদা না করে তপসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে কারণে তিনি তপসিল স্থগিত করে নতুন করে আলাদা ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।
স্থায়ী অধ্যক্ষ না থাকায় বারবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিবর্তন:
গত এক বছরে অন্তত তিনজন অধ্যক্ষ পরিবর্তন হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। স্থায়ী অধ্যক্ষ না থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়ছে বলে বলে অভিভাবকদের দাবি।
প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডির সাবেক সদস্য গোলাম আশরাফ তালুকদার গত ২৮ মার্চ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্থায়ী অধ্যক্ষ না থাকায় ঘন ঘন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিবর্তন করায় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রাশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা থাকায় মৌলবাদ শক্তি জেকে বসেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আসন্ন গভর্ণিং বডি গঠনের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য জয় পরাজয়ের হিসাব নিকাশে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উপর চলছে নিয়ম এবং আইন বহিভূর্ত নিপীড়ন, ভেঙ্গে পড়েছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা, চলছে বিভক্তি, বিভাজন ও আঞ্চলিকভাবে বিষবাম্পের লেলিহাল।’
আশরাফ তালুকদার প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আসন্ন প্রায়।’
গভর্ণিং বডির নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমাম হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি তা ধরেননি।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, তারা আইডিয়াল স্কুলের গভর্ণিং বডির নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয়ে নজর রাখছেন। কোচিং কার্যক্রম ও গভর্ণিং বডির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ বিশৃঙ্খলা বা সরকারি বিরোধী তৎপরতা চালালে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
| কোচিং ‘বাণিজ্য’ ও গভর্ণিং বডির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কয়েকটি পক্ষ্যের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলছে। স্কুলের তিন ক্যাম্পাসে চলছে মহড়া ও পাল্টা মহড়া। ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্যের স্বার্থে শিক্ষকদের একটি বড় অংশই দলাদলিতে জড়িয়ে পরছেন বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন। |
৩০টি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত:এনবিআর | আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ না করায় অন্তত ৩০টি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর দেয়ার বিষয়ে একমাসেরও বেশি সময় আগে উচ্চ আদালতের রায় প্রকাশ হয়েছে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি এখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পায়নি বলে তাদের দাবি। এর মধ্যে এনবিআর গত বৃস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বলে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় সমিতির (এপিইউবি) দাবি।
গতকাল সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর প্রদান সংক্রান্ত রিট আপিলের নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে রায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের বিশদ বিবরণ এখনও প্রকাশিত হয়নি। তথাপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর দেয়ার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে এবং দুঃখজনকভাবে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে।’
সমিতির পরিচালক (তথ্য) বেলাল আহমেদ সংবাদকে জানিয়েছেন, ‘গত বৃস্পবিবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত ৩০টি বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে এনবিআর। ঈদের আগে ব্যাংক হিসাব স্থগিত হওয়ায় অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদের আগে বেতন-ভাতা ও বোনাস কীভাবে পাবেন সেটি নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়গুলো উদ্বিগ্ন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংক হিসাব স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও প্রাইম ইউনিভার্সিটি অন্যতম। প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা সব হিসাবই স্থগিত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত ৪ মার্চ একটি বিশ^বিদ্যালয়কে পাঠানো এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়, ‘আয়কর আইন-২০২৩-এর ২১৪ ধারা মোতাবেক বকেয়া পরিশোধের নোটিশ পাঠানো হলো। চলতি ১৫ মার্চের মধ্যে কর পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। এই কর প্রদানে ব্যর্থতায় আয়কর আইন-২০২৩-এর ২৭৫ ধারা অনুযায়ী জরিমানা আরোপসহ অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’
‘যদি ইতোমধ্যে কর পরিশোধ করে থাকেন, তবে পরিশোধিত চালানের কপি বা প্রমাণাদি অথবা কোন আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকে, তার প্রমাণাদি নিম্নস্বাক্ষরকারীর দপ্তরে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে (১৫ মার্চ) দাখিল করার অনুরোধ করা হলো। অন্যথায়, বকেয়া দাবির ব্যাপারে আপনার পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই বলে বিবেচিত হবে।’
শেখ কবির হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ এবং রায় অনুযায়ী আয়কর দেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কোনো সুযোগ না দিয়ে রোজা চলাকালীন মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা একটি অমানবিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতীয়মান। কেননা, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবারের বেতন, বোনাস এবং অন্যান্য বিল পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।’
জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে বলে রায় দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের কপি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাতে এখনও পৌঁছায়নি বলে তাদের দাবি।
আদালতের রায়ের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা প্রকাশের আগে এনবিআর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খাতে ‘চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা’ সৃষ্টি হয়েছে বলে শেখ কবির হোসেনের দাবি।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে দেশে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ১১৪টি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি বিশ^বিদ্যালয়ে এখনও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ইউজিসির অনুমতিক্রমে ১০৩টি বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
| আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ না করায় অন্তত ৩০টি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। |
শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে | এক বছরে শিক্ষায় পারিবারিক ব্যয় প্রাথমিক স্তরে ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে আগের বছরের তুলনায় এই ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’ পরিচালিত ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘এডুকেশন ওয়াচ-২০২৩’ শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে ২০২১ সালে সর্বস্তরে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর (কওমি মাদ্রাসা ব্যতীত) মধ্যে ৪২ শতাংশ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, ৩৮ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং ২০ শতাংশ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিশুদের শিক্ষার জন্য পারিবারিক ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান ধারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি, প্রাইভেট টিউটর, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ও স্টেশনারিসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পারিবারিক খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। ওই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরিবারের ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরে প্রধানত প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ ওই ব্যয় হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৪১ শতাংশ অভিভাবক এবং মাধ্যমিক স্তরে ১৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, প্রতি সন্তানের জন্য তাদের মাসিক ব্যয়ের সামর্থ্য ছিল দুই হাজার টাকার মধ্যে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের গড় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।
সুপারিশ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক অবদান রাখে, যা এদের ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে দারিদ্র্যকেই নির্দেশ করে। ঝরে পড়ার কারণসমূহ দূর করতে এবং স্কুলে কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্কুলের লেখাপড়ার মান গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করা এবং তা পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী হতে হবে।
এছাড়া পারিবারিক সহায়তা এবং শিক্ষা ব্যয়ের বোঝা কমানো প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফি-র ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এসব চাপ বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিবেদনে শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রমের মনিটরিং, প্রাইভেট টিউটরিং এবং গাইডবই নির্ভরতা কার্যকরভাবে হ্রাস করা এবং অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মুখস্থভিত্তিক শিখন থেকে নিবৃত্ত করে প্রকৃত জ্ঞান আরোহণের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে।
যেসব শিক্ষার্থী পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে তাদের জন্য অতিরিক্ত পাঠ এবং চাহিদাভিত্তিক সহায়তা দিয়ে সফল হতে সাহায্য করা; স্কুল কর্তৃক আরোপিত আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি নিয়ন্ত্রণ এবং দূর করার জন্য বিধান কার্যকর করা, যা পরিবারের ওপর আর্থিক বোঝা কমাতে এবং শিক্ষায় আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।
এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুর আহমদ, গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন ও আহসান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
| এক বছরে শিক্ষায় পারিবারিক ব্যয় প্রাথমিক স্তরে ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে আগের বছরের তুলনায় এই ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। |
শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে | এক বছরে শিক্ষায় পারিবারিক ব্যয় প্রাথমিক স্তরে ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে আগের বছরের তুলনায় এই ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’ পরিচালিত ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘এডুকেশন ওয়াচ-২০২৩’ শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে ২০২১ সালে সর্বস্তরে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর (কওমি মাদ্রাসা ব্যতীত) মধ্যে ৪২ শতাংশ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, ৩৮ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং ২০ শতাংশ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিশুদের শিক্ষার জন্য পারিবারিক ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান ধারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি, প্রাইভেট টিউটর, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ও স্টেশনারিসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পারিবারিক খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। ওই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরিবারের ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরে প্রধানত প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ ওই ব্যয় হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৪১ শতাংশ অভিভাবক এবং মাধ্যমিক স্তরে ১৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, প্রতি সন্তানের জন্য তাদের মাসিক ব্যয়ের সামর্থ্য ছিল দুই হাজার টাকার মধ্যে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের গড় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।
সুপারিশ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক অবদান রাখে, যা এদের ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে দারিদ্র্যকেই নির্দেশ করে। ঝরে পড়ার কারণসমূহ দূর করতে এবং স্কুলে কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্কুলের লেখাপড়ার মান গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করা এবং তা পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী হতে হবে।
এছাড়া পারিবারিক সহায়তা এবং শিক্ষা ব্যয়ের বোঝা কমানো প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফি-র ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এসব চাপ বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিবেদনে শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রমের মনিটরিং, প্রাইভেট টিউটরিং এবং গাইডবই নির্ভরতা কার্যকরভাবে হ্রাস করা এবং অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মুখস্থভিত্তিক শিখন থেকে নিবৃত্ত করে প্রকৃত জ্ঞান আরোহণের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে।
যেসব শিক্ষার্থী পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে তাদের জন্য অতিরিক্ত পাঠ এবং চাহিদাভিত্তিক সহায়তা দিয়ে সফল হতে সাহায্য করা; স্কুল কর্তৃক আরোপিত আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি নিয়ন্ত্রণ এবং দূর করার জন্য বিধান কার্যকর করা, যা পরিবারের ওপর আর্থিক বোঝা কমাতে এবং শিক্ষায় আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।
এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী,গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুর আহমদ, গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন ও আহসান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
| এক বছরে শিক্ষায় পারিবারিক ব্যয় প্রাথমিক স্তরে ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে আগের বছরের তুলনায় এই ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। |
কক্সবাজারে ওয়্যারলেস অডিও ডিভাইসসহ দুইজন আটক | কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় হাতের বাহুতে অত্যাধুনিক ডিভাইস অভিনব কায়দায় লুকিয়ে পরীক্ষা দেয়ার সময় বশির আহমেদ ও তৌহিদুল ইসলাম নামে দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে কক্সবাজার সিটি কলেজের ৪০২ নম্বর রুম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক বশির আহমেদ কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে এবং তৌহিদুল ইসলাম চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা এলাকার শামসুল আলমের ছেলে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের দাবি, অত্যাধুনিক ওয়্যারলেস অডিও ডিভাইস ব্যবহার করে সিটি কলেজ কেন্দ্রে বশির প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসেছিল। পরে সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তাদের আটক করা হয়।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিং অং জানান, কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আটক পরীক্ষার্থীদের কক্সবাজার সদর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের হবে বলে জানায় পুলিশ।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ‘আটক দুজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।’
শুক্রবার (২৯ মার্চ) শেষ ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছেন।
| প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা |
মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে, বেড়েছে মাদ্রাসায় | দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (হাইস্কুল) শিক্ষার্থী কমছে। চার বছরের ব্যবধানে মাধ্যমিক পর্যায়ে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। এই সময়ে মাদ্রাসায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী বেড়েছে। কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলেও শিক্ষার্থী বাড়ছে।
সরকারের শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির ‘শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’-এর খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ব্যানবেইসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর।
ব্যানবেইস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তারা যেসব তথ্য পেয়েছেন, সেগুলো প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন। তবে তারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমার কারণ বিশ্লেষণ করেনি।
কর্মকর্তাদের ধারণা, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী সাধারণ ধারার পড়াশোনা ছেড়ে ভিন্ন ধারায় চলে গেছে। অনেকে আয়-রোজগারের তাগিদে অল্প বয়সে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা থাকছে, নাকি উঠে যাচ্ছে-এসব বিতর্কের কারণে কোনো কোনো শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। এসব কারণে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমেছে বলে শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার ধারণা।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করে। এসব শিক্ষার্থীকে ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ তিন হাজার ৪২৭ জন, যা ২০২৩ সালে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে নেমে আসে।
দেশে মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮ হাজার ৯৬৮টি। এগুলোতে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৪৫ শতাংশ এবং ছাত্রী ৫৫ শতাংশ।
একই সময়ে অর্থাৎ ২০১৯-২০২৩ সালে সারা দেশের মাদ্রাসায় (দাখিল ও আলিম) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। ২০২৩ সালে মাদ্রাসায় মোট শিক্ষার্থী ছিল ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৫৪ শতাংশ ছাত্রী।
কারিগরিতে বাড়ছে প্রতিষ্ঠান:দেশে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে দেশে পাঁচ হাজার ৩৯৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। চার বছর আগে এই সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৩০৯টি।
আর কারিগড়িতে বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে সাত লাখ। চার বছর আগেও এই সংখ্যা সাত লাখের মতো ছিল। তবে কারিগরিতে মোট শিক্ষার্থীর ৭১ শতাংশই ছাত্র। মাত্র ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।
ইংরেজি মাধ্যমেও বাড়ছে শিক্ষার্থীব্যানবেইসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। এগুলিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজারের বেশি। চার বছর আগে ইংলিশ মিডিয়ামে এসব প্রতিষ্ঠানে ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ছিল।
| দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (হাইস্কুল) শিক্ষার্থী কমছে। চার বছরের ব্যবধানে মাধ্যমিক পর্যায়ে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। এই সময়ে মাদ্রাসায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী বেড়েছে। কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলেও শিক্ষার্থী বাড়ছে। |
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে চার ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে এক লাখ দুই হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন পাস করেছেন। এই ইউনিটে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। বিজ্ঞান ইউনিটে এক লাখ নয় হাজার ৩৬৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে নয় হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই ইউনিটে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ৩৪ হাজার ৩৬৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে চার হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর চারুকলা ইউনিটে চার হাজার ৫১০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫৩০ জন। এখানে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন। এই ইউনিটে মোট আসন দুই হাজার ৯৩৪টি। তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য এক হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৪৪টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮৩টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন। বিজ্ঞান ইউনিটে মোট এক হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য এক হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখার জন্য ৫১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর অর্জন করেছেন। এই ইউনিটে মোট এক হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৩০টি, মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৫টি এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বাঁধন তালুকদার। মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯৮ দশমিক ১৬। এই ইউনিটে ১৩০টি আসন রয়েছে।
যেভাবে ফল জানা যাবে:
পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এজন্য টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের’ জন্য DU ALS , ‘বিজ্ঞান ইউনিটের’ জন্য DU SCI , ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের’ জন্য DU BUS এবং ‘চারুকলা ইউনিটের’ জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানা যাবে।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৯ মার্চ চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
| ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে চার ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ দিনের ছুটি শুরু | ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয় করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে। অর্থাৎ ২৬ মার্চ থেকে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয় করে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ছুটি থাকবে। ১৯ ও ২০ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ২১ এপ্রিল থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে।
চলতি বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান মাস শুরু আগের দিন ১০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাদ্রাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টানা প্রায় এক মাসের ছুটি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে ২৫ মার্চ এবং রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন একজন অভিভাবক। হাইকোর্ট সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আদেশ দেয়।
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন। আর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ দিনের ছুটি কমানো হয়। সেই হিসাবে ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু ছিল। ২২ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে।
দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে ২৫ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। মাদ্রাসার ছুটি শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে।
| ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয় করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে। অর্থাৎ ২৬ মার্চ থেকে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। |
শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত: শিক্ষামন্ত্রী নওফেল | আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, বছরের কয়েকটি শনিবার ক্লাস চালু রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। আগের বছরগুলোতে পুরো রমজানেও ছুটি পেত শিক্ষার্থীরা। চলতি বছর রোজার ১০ দিন প্রাথমিক ও ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সরকার।
বিষয়টি আদালতে গড়ালে উচ্চ আদালত স্কুল বন্ধ রাখার আদেশ দেয়, পরে আপিল বিভাগের রায়ে রোজা স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
আগামী বছর সরকার এমন পরিস্থিতিতে যেতে চায় না জানিয়ে মহিবুল হাসান বলেন, “রমজানে স্কুল খোলা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে, আমরা আগামীতে চেষ্টা করব কীভাবে এটি কাঠামোর মধ্যে আনা যায়।
“বছরে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে কিছুটা খোলা রেখে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক হচ্ছে, বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে, সেটি আমরা বন্ধ করতে পারি।”
এজন্য আগেই পরিকল্পনা নেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যাতে আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে এসে সে ধরনের অপচেষ্টা কেউ না করতে পারে, এটা নিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে না পারে, এ বিষয়ে আমরা চেষ্টা করব।”
আগের ধারাবাহিকতায় এ বছরও রোজার মাস বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকায় ছিল। এ বছর ১০ মার্চ থেকে মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আর ১১ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরুর কথা ছিল।
তবে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণ করতে ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রোজায় বিদ্যালয়ে ক্লাস চালুর রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মাহমুদা খানম। তার আবেদনের ওপর শুনানি করে রোজায় স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয় বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
এরপর হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
পরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাই কোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রাখেন।
এরপর গত ১২ মার্চ রোজায় দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে রোজার মধ্যে দেশের সব স্কুল খোলা থাকে।
আপিল বিভাগের ওই সিদ্ধান্তের পর রোজার প্রথম দশ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চালানোর কথা জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন ওইদিন বলেছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১০ রমজান (২১ মার্চ) পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আর সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস চলবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।
| আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। |
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সমাপনী পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা করার প্রস্তাব এনসিটিবির | নতুন শিক্ষাক্রমে প্রতিটি ‘মিডটার্ম ও বার্ষিক ‘চূড়ান্ত’ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টায় নেয়ার প্রস্তাব করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এছাড়া প্রচলিত নিয়মে পাবলিক পরীক্ষা অন্য কেন্দ্রে এবং চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণীর পরীক্ষা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানেই নেয়ার প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। আর সকাল ১০টা থেকে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বা পরীক্ষা শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি রাখার প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। এতে ছয়টি সেশন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গতকাল ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত এক সভায় নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের এই খসড়া প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। যদিও সভায় এই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিন্ধান্ত হয়নি বলে একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের প্রথম দিকে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এই কমিটিরই সভা ছিল ওইদিন।
ওইদিন সভা শেষে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কার্যক্রম কীভাবে হবে সে বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এনসিটিবি নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে। কিছুটা আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আগামীতে আরো সভা হবে।’
এনসিটিবির পক্ষ্য থেকে স্কুল সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা নাগাদ প্রতিদিন একটি বিষয়ের মূল্যায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে টানা পাঁচ ঘণ্টা বসে পরীক্ষা দিতে হবে না। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্ন বিরতি থাকবে। এর মধ্যেই বিষয়ভেদে এক থেকে দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হবে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ওইদিন (২৪ মার্চ) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনায় এসেছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে তিনি জানান।
মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে এনসিটিবির এক সদস্য বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত-ছয় ঘণ্টা। এই ছয় ঘণ্টার মধ্যে মাঝখানে এক ঘণ্টা নামাজ এবং মধ্যাহ্ন বিরতি থাকবে। বাকি পাঁচ ঘণ্টা শিক্ষার্থীরা কাজ করবে। একটি ‘এক্সপেরিমেন্ট’ দেয়া হবে।
মূল্যায়ন কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, শেষ সময়ে এক ঘণ্টা বা বিষয় অনুযায়ী সোয়া এক ঘণ্টা একটি লিখিত অংশ থাকবে। বাকি সময় শিক্ষার্থীদের ‘অ্যাকটিভিটিজে’ ব্যস্ত থাকবে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, স্কুলে যেভাবে মূল্যায়ন হয় সেভাবেই এই কার্যক্রম হবে। শিক্ষার্থীদের শুধু পাবলিক পরীক্ষার সেন্টারে যেতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাইরের মূল্যায়নে অন্য স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা সারাদিন কাজ দেয়া হবে এবং তাদের অবজারভেশন-চেকলিস্ট অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে।
অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে যথারীতি এসএসসি ও এইচএসসিতে পাবলিক পরীক্ষা থাকবে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে এই পরীক্ষা নেই। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শুধু স্কুলের পরীক্ষা থাকবে।
২০২৩ সালে প্রথম শ্রেণী, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলতি শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে এই শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সিন্ধান্ত রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে।
| নতুন শিক্ষাক্রমে প্রতিটি ‘মিডটার্ম ও বার্ষিক ‘চূড়ান্ত’ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টায় নেয়ার প্রস্তাব করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। |
ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামজিক অনুষদের ডিন ও অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ। ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে নতুন ডিন নিয়োগ পাবেন। তবে আপাতত মরহুম জিয়া রহমানের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদকে ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে মনোনীত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ বলেন, আমি প্রয়াত জিয়া স্যারের অসমাপ্ত কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে চাই।
| ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামজিক অনুষদের ডিন ও অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ। ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। |
এইচএসসি পরীক্ষা কার কোন কেন্দ্রে, তালিকা প্রকাশ | চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
বোর্ডের ওয়েবসাইটে কেন্দ্র অনুযায়ী কলেজের তালিকা দেওয়া হয়েছে।
এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, ৩০ জুন এই পরীক্ষা শুরু হতে পারে।
সাধারণত এপ্রিলে দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও কোভিড মহামারীর ধাক্কায় শিক্ষা সূচি এলোমেলো হওয়ায় এবারও পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে, চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
| চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। |
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শতাধিক ‘ট্রেড কোর্সের’ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই সংস্থার দ্বন্দ্ব | কারিগরি শতাধিক বেসিক ‘ট্রেড কোর্সের’ (সংক্ষিপ্ত, ৩৬০ দিনের) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলছে দুই সংস্থার লড়াই। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২১টি ‘ট্রেড কোর্স’ চলমান। বোর্ডই সনদ নিচ্ছে। এখন এগুলিকে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের’ (ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলাপমেন্ট বা এনএসডি) অধীনে নিতে চায় সরকারের একটি মহল। আগামী ১ জুলাই থেকে এসব কোর্স এনএসডির মাধ্যমে পরিচালনা হবে। তখন এনএসডি থেকেই প্রশিক্ষণের সনদ দেয়া হবে। কিন্তু ‘ট্রেড কোর্স’ পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি এনএসডির অধীনে যেতে নারাজ।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডও এই কর্তৃত্ব ছাড়তে আগ্রহী নয়। বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ‘ট্রেড কোর্স’ এনএসডিতে স্থানান্তরের বিরোধী করছেন না। তারা ট্রেড কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এনএসডিতে কোর্স স্থানান্তরের বিরোধীতা করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আটটি ট্রেড কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সংগঠন ‘শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদের’ প্রধান সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন ভূইয়া সংবাদকে বলেন, তারা জানতে পেয়েছেন-কারিগরি খাতে বিদেশ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলারের একটি তহবিল আসছে। এই তহবিল নিয়ন্ত্রণের জন্যই ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ট্রেড কোর্সগুলি নিজেদের কব্জায় নিতে চায় সরকারের একটি বিশেষ মহল।
ঐক্য পরিষদের নেতাদের দাবি, বর্তমানে এনএসডির অধীনে মাত্র ৭/৮টি ট্রেড কোর্স পরিচালনা হচ্ছে। এর অধীনে আরো ১২১টি কোর্স গেলে নতুন করে এগুলি পরিচালনার জন্য নিবন্ধন, অনুমোদন বা অন্যান্য অনুমতি নিতে হবে। এতে বাড়তি খরচ গুণতে হবে। নানা ঝামেলাও পোহাতে হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের ওপর বাড়তি খরচের বুঝাও চাপবে। এসব কোর্স পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতাও এনএসডির নেই বলে নেতাদের দাবি।
জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান সংবাদকে বলেন, বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে সনদ প্রদান করে। বর্তমানে তারা ৩৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কিন্তু এখন শর্ট কোর্সের সনদও দিতে চাইছে এনএসডি।
এতে আইনি জটিলতা হতে পারে বলে তিনি বলেন, একই বিষয়ে বোর্ডকে কর্তৃত্ব দেয়া আছে। এখন পৃথক আইনে এনএসডির অধীনেও তা করতে চাচ্ছে। এ কারণে আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে।
এনএসডির অধীনে শর্ট কোর্সের নিয়ন্ত্রণ গেলে এই কোর্সের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও তার আশঙ্কা।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় তিন হাজার সাতশ’টি সরকারি, বেসরকারি ও একটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ১২১টি কোর্স চলমান। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর প্রায় তিন থেকে চার লাখ তরুণ-তরুণীকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন (প্রাথমিক স্তর) ‘দক্ষ মানব সম্পদ’ তৈরি করা হচ্ছে।
এসব কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্যোক্তা হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলেও ট্রেড কোর্স পরিচালকরা জানিয়েছেন। এসব কোর্স সম্পন্ন করে অনেকে বিদেশে গিয়ে রেমিটেন্স পাঠিয়েও অবদান রাখছেন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনএসডিএ ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলার নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই সংস্থার চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর গভর্নিং বডিতে আছেন মন্ত্রী, সচিবসহ মোট ২৯ জন। গত পাঁচ বছরে এনএসডিএ থেকে প্রায় ১১ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে সনদ দেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, কারিগরি বোর্ড এনটিভিকিউএফ লেভেল নিয়ে কাজ করছে। এসব কোর্স বিএনকিউএফ এর কোন কোর্স নয়। এ কোর্সটি শুধু প্রাথমিক স্তরে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে অদক্ষদের সহায়তা দানের একটি কোর্স।
অন্যদিকে এনএসডিএ এনটিভিকিউএফ লেভেল পরিচালনা করে থাকে, ফলে দুই কোর্সের মধ্যে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় নেই। বরং প্রাথমিক স্তরের সার্টিফিকেট কোর্স করার পর কোন প্রশিক্ষণার্থী উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে এনএসডিএ এর অধীনে কোর্স করতে পারবে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে এনএসডিএ এপেক্স বডি হিসেবে কারিগরি বোর্ডকে তদারকি করতে পারে। দেশে বিভিন্ন সংস্থা, যেমন- যুব উন্নয়ন, প্রবাসীকল্যান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজ সেবাসহ প্রায় ৪০/৫০টি প্রতিষ্ঠানে এসব কোর্স করছে, অথচ স্বীকৃত কারিগরি বোর্ড থেকে এ সব কোর্সগুলো বন্ধ করলে এনএসডিএ এর অধীনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশিক্ষণার্থী স্বল্পতায় পড়বে এবং সেই সঙ্গে দেশের কারিগরি শিক্ষার হার মুখ থুবরে পড়বে বলে আশঙ্কা ‘শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদের’।
এ বিষয়ে পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসব কোর্সসমূহের সনদায়নের কার্যক্রম স্থগিত করা হলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণের লক্ষমাত্রা ২০৩০ সালে ৩০ ভাগ ও ২০৪০ সালে ৫০ ভাগ অর্জন ব্যহত হবে। তিনি কারিগরিতে সরকারের এনরোলমেন্ট কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে ‘শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির’ (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির সংবাদকে বলেন, ‘কারিগরির একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড থাকতে এর কার্যক্রম অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার অধীনে নেয়ার কোনো যুক্তি নেই। এতে শুধু টাকা-পয়সা ব্যয় হবে; দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হবে।’
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মন্তব্য করে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব শেখ ইকরামুল কবির আরো বলেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। বোর্ডের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেগুলি না করে এর কার্যক্রম অন্যত্র স্থানান্তর করলে কোনো লাভ হবে না।’
বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ১৯৯৫ সাল থেকে জাতীয় দক্ষতামান বেসিক (৩৬০ ঘণ্টা মেয়াদি) কোর্সসমূহ যথাযত অনুমোদন, যুগোপযোগী নীতিমালা, প্রবিধান ও পাঠ্যক্রম অনুসরণ এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাগ্রহণ ও সনদায়নের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম ‘সুনাম ও দক্ষতার’ সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে।
১ জুলাই থেকে এনএসডিতে কয়েকটি কোর্স চালু :প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৮ মার্চ ওই সভার কার্যবিবরণী প্রকাশ হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে দক্ষতা সংক্রান্ত ৩৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণের কম্পিটেন্সি স্ট্যান্ডার্ড (সিএস), কোর্স অ্যাক্রিডিটেশন ডকুমেন্ট (সিএডি), কম্পিটেন্সি রেজড কারিকুলাম (সিবিসি) প্রণয়ন, অ্যাসেসমেন্ট পরিচালনা এবং সনদায়নসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এনএসডির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
এসএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল (ভোকেশনাল) ও (আলিম ভোকেশনাল) সার্টিফিকেটের সঙ্গে দ্বৈতভাবে দক্ষতার সনদ আপাতত কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (বিটিইবি) কর্তৃক প্রদান করা হবে।
সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ৩৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত দক্ষতা প্রশিক্ষণ, অ্যাসেসমেন্ট পরিচালনা ও সনদায়ন এনএসডি’র সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক পরিচালনা করতে হবে।
এনএসডির কারিকুলামে ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্রিটিশ কাউন্সিল/সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমাঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে-এমন দেশসমূহের দক্ষতার চাহিদাকে বিবেচনা করে দেশভিত্তিক সিএস, সিএডি ও সিভিসি প্রণয়ন করতে হবে। এ সকল প্রণয়নে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুরে্যা (বিএমইটি)সহ বাংলাদেশের হাইকমিশন/দূতাবাসসমূহকে সম্পৃক্ত করে চাহিদা পুনব্যিন্যাস করতে হবে। এ লক্ষ্যে এনএসডির কার্যনির্বাহী কমিটিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কো-অপ্ট করতে হবে।
এনএইচআরডিএফের পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ওয়েল্ডিং, আইসিটি, কেয়ারগিভিং, হেভি ইকুইপমেন্ট অপারেশন, প্লাম্বিং, পাইপ ফিটিং, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং, হাউজকিপিং, ড্রাইভিংসহ দেশে ও বিদেশে চাহিদাসম্পন্ন অকুপেশন এবং ফোরআইআর এর সম্ভাবনা বিবেচনা করতে হবে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে সহজীকৃত আবেদন ফর্মসহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এনএইচআরডিএফ থেকে আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম আইএসসি, এনএইচআরডিএফ এবং এনএসডির প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে নিয়মিত পরিবীক্ষণ করতে হবে।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের গ্রহণযোগ্যতা ও আন্তজার্তিক মান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার সহায়তায় সিএস, সিএডি ও সিভিসি পুণর্মূল্যায়ন যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এতে আরও বলা হয়, এ সব কার্যক্রমসহ দক্ষতা প্রশিক্ষণ বিষয়ে সচতেনতা বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃজনের বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ব্র্যাক-এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এনএসডির নিজস্ব জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
| কারিগরি শতাধিক বেসিক ‘ট্রেড কোর্সের’ (সংক্ষিপ্ত, ৩৬০ দিনের) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলছে দুই সংস্থার লড়াই। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২১টি ‘ট্রেড কোর্স’ চলমান। বোর্ডই সনদ নিচ্ছে। এখন এগুলিকে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের’ (ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলাপমেন্ট বা এনএসডি) অধীনে নিতে চায় সরকারের একটি মহল। আগামী ১ জুলাই থেকে এসব কোর্স এনএসডির মাধ্যমে পরিচালনা হবে। তখন এনএসডি থেকেই প্রশিক্ষণের সনদ দেয়া হবে। কিন্তু ‘ট্রেড কোর্স’ পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি এনএসডির অধীনে যেতে নারাজ। |
কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের অনন্য সাফল্য | কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের সাফল্য
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘আউটস্ট্যান্ডিং কেমব্রিজ লার্নার্স অ্যাওয়ার্ড’ -এর ফলাফল। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছেন। দেশের আইজিসিএসই-তে ১১টি শীর্ষস্থান অর্জনকারীদের মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থীই ডিপিএস এসটিএস স্কুলের। স্কুলের ৩৭৮ জন সিএআইই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ডিপিএস’র ১০ জন শিক্ষার্থীকে কান্ট্রি টপার ও হাই অ্যাচিভার ক্যাটাগরিতে সম্মানজনক কেমব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ দেয়া হয়। সম্মানজনক এ পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জন হচ্ছেন আইজিসিএসই ও ১ জন এএস লেভেলের কান্ট্রি টপার; অন্যদিকে, ১ জন আইসিএসই এবং ১ জন এএস লেভেল শিক্ষার্থী হাই অ্যাভিচার। ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা থেকে ১৫৮ জন আইজিসিএসই, ১৩২ জন এএস লেভেল এবং ৮৮ জন এ লেভেল শিক্ষার্থী সিএআইই ২০২৩ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে
শিক্ষার্থীদের ফলাফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “আমি সকল কান্ট্রি টপার এবং হাই অ্যাচিভারদের আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। এই অর্জন আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরলস কঠোর পরিশ্রম এবং তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধারাবাহিক সহায়তারই প্রতিফলন। ”
আইজিসিএসই কান্ট্রি টপাররা হলেন: ফাইয়াজ এনায়েত হোসেন, মোহাম্মদ জুমায়েল উদ্দীন, পারিসা আবেনি হক, ফাইয়াজ এনায়েত হোসেন, তায়েবা আঞ্জুম রাহা, মুসাররাত ইসলাম খান ও ফারহান শহীদ। এএস লেভেল বিজনেসে দেশ সেরা হন আনিশা ইবনাত নিধি। হাই অ্যাচিভারদের মধ্যে আরও রয়েছেন আফরাহ নূর (আইজিসিএসই ফ্রেঞ্চ) এবং ফারদীন আবরার খান (এএস লেভেল ইনফরমেশন টেকনোলজি)।
| কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের সাফল্য |
বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে | বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে বুয়েটের ওয়েবসাইটে ভর্তি কমিটির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জীবন পোদ্দারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফল জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২৭ মার্চ থেকে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে।
ওয়েবসাইটে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এবং অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মেধাতালিকা ও পছন্দক্রম অনুসারে প্রার্থীদের বিভাগ বণ্টনও প্রকাশ করা হয়েছে।
এবার কয়েকটি সংরক্ষিত আসনসহ মোট ১ হাজার ৩০৯টি আসনে ভর্তি হতে প্রাক-ভর্তির পর চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৩৯ জন অংশ নেন।
ফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ক’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ভর্তির জন্য ২৭ ও ২৮ মার্চ দলিলাদি মূল্যায়ন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। বুয়েটের পশ্চিম পলাশী ক্যাম্পাসের ইসিই ভবনের লেভেল-৮-এ ভর্তি অফিসে শিক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে উপস্থিত হতে হবে।
অন্যদিকে ‘খ’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে পশ্চিম পলাশী ক্যাম্পাসের ইসিই ভবনের লেভেল-৮-এর ভর্তি অফিসে হাজির হতে হবে।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের তিন ধাপে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম ধাপে স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিতে হবে। এজন্য বুয়েটের ওয়েবসাইট থেকে মেডিকেল স্ক্রিনিং ফর্ম ফর অ্যাডমিশনের পিডিএফ ফাইল প্রিন্ট করে হাতে লিখে পূরণ করতে হবে।
মেডিকেল স্ক্রিনিং ফরমের একটি অংশ প্রার্থী নিজেই পূরণ করবেন। দ্বিতীয় অংশটি প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরির রিপোর্ট মূল্যায়ন করে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক, হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরির ফি ভর্তিচ্ছুকে বহন করতে হবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দৃষ্টিশক্তিতে ত্রুটি ধরা পড়লে সাত দিনের মধ্যে পুনঃপরীক্ষা করা যেতে পারে। অন্যান্য অস্থায়ী অনুপযুক্ততা, যেমন-হাইড্রোসিল, হার্নিয়া ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যে পুনঃপরীক্ষার জন্য বিবেচিত হতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুকে ভর্তি ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রকৌশল অনুষদসমূহের বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য সাত হাজার ১৫০ টাকা এবং স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য সাত হাজার ২০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। সোনালী ব্যাংকে ডিমান্ড ড্রাফট অথবা পে-অর্ডারের মাধ্যমে কম্পট্রোলার, বুয়েট-ঢাকা বরাবর ফি জমা দিতে হবে।
তৃতীয় বা শেষ ধাপে শিক্ষার্থীকে মূল সনদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন এবং ভর্তি ফির রসিদ জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে এসএসসির মূল সনদ ও মার্কশিট এবং এইচএসসির মূল মার্কশিট সঙ্গে আনতে হবে। প্রত্যেক মূল সনদের সঙ্গে এক কপি করে ফটোকপি (সত্যায়িত ছাড়া) জমা দিতে হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপে প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, যাতে অংশ নেন ১৫ হাজার ৪৪৩ জন।
ওই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মোট ৬ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৩৯ জন ৯ মার্চ মূল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ মিলে ৩টি (কোনো বিভাগে ১ টি আসনের বেশী নয়) এবং স্থাপত্য বিভাগের জন্য ১টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট ১ হাজার ৩০৯টি আসন রয়েছে।
কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
| বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। |
সিমাগো র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় | বিশ্বখ্যাত সিমাগো ইনস্টিটিউশন্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০২৪ সালের র্যাংকিংয়ে গবেষণা, সামাজিক প্রভাব ও উদ্ভাবনে দেশের সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অষ্টম অবস্থানে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সিমাগো ইনস্টিটিউশন্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০২৪ সালের র্যাংকিংয়ের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৯ হাজার ৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউশন্স র্যাংকিংয়ের ২০২৪ সালের সংস্করণে জায়গা পায় বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ৪৩টি সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পেয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮ তম। এছাড়াও এশিয়া অঞ্চলে ৬৪৫তম ও আন্তর্জাতিকভাবে ১৮১৩তম অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
গবেষণা, সামাজিক প্রভাব ও উদ্ভাবন- এ তিনটি সূচকের ফলাফল পর্যালোচনা করে এই র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তিনটি সূচকের ফলাফল অনুযায়ী আলাদা র্যাংকিং এবং এক সঙ্গে মিলিয়ে সার্বিক র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে। সার্বিক র্যাংকিং করার জন্য তারা গবেষণায় ৫০ শতাংশ, উদ্ভাবনে ৩০ শতাংশ এবং সামাজিক প্রভাবে ২০ শতাংশ পয়েন্ট দিয়ে থাকে। র্যাংকিং অনুযায়ী গবেষণা, সামাজিক প্রভাব ও উদ্ভাবন- এই তিন সূচকে কুমিল্লা বিশ্ববিদালয়ের অবস্থান দেশে যথাক্রমে ৪৮তম, ৫৫তম ও ১৬তম। তাছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে এই সালের তিন সূচকে র্যাংকিং যথাক্রমে ৪৯১৪তম, ৯৮৫তম, ৪১৯০তম।
| বিশ্বখ্যাত সিমাগো ইনস্টিটিউশন্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০২৪ সালের র্যাংকিংয়ে গবেষণা, সামাজিক প্রভাব ও উদ্ভাবনে দেশের সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অষ্টম অবস্থানে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। |
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তির ফল ১৮ মার্চ | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদনের ফল আগামী ১৮ মার্চ প্রকাশিত হবে। এদিন ভর্তিচ্ছুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ঢুকে ফলাফল দেখতে পারবেন। এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভর্তি আবেদনের ফল প্রকাশের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে ফল প্রকাশ করতে পারব। সবকিছু প্রস্তুত হয়ে গেলে আগামী ১৮ মার্চ ফলাফল প্রকাশিত হবে।
গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্নাতক (সম্মান) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ২২ জানুয়ারি থেকে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। চলে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে এবারও এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে স্নাতকে ভর্তি নেওয়া হবে। ফলে এবারও কোনো ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না।
২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। এর আগে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
| জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদনের ফল আগামী ১৮ মার্চ প্রকাশিত হবে। এদিন ভর্তিচ্ছুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ঢুকে ফলাফল দেখতে পারবেন। এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। |
শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ | শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে একদল বিনিয়োগকারী মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিক্ষুব্ধ এসব বিনিয়োগকারী ব্যানার নিয়ে ডিএসই ভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা শেয়ারবাজারের দরপতনের প্রতিবাদে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটির অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, ডিএসইর চেয়ারম্যানসহ পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন; তাই তাঁরা হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার দাবি জানান।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, শেয়ারবাজারে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে বড় ধরনের দুটি ধস হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে বাজারে যে ধস নেমেছে, তা অতীতের দুই ধসকে হার মানিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতায় এটা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, পুঁজি হারিয়ে কোনোরকমে তারা বেঁচে আছেন—অনন্যোপায় হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।
বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা আরও বলেন, সারা বিশ্বের পুঁজিবাজার যেখানে ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতন চলছে। তাঁদের অভিযোগ, নিম্নমানের ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি তালিকাভুক্ত করে বারবার বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মুখে ফেলা হচ্ছে। এসব কোম্পানি বাজার থেকে টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে আর বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হচ্ছেন। সে জন্য বিনিয়োগকারীরা নিম্নমানের ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির আইপিও বন্ধের দাবি জানান।
| শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে একদল বিনিয়োগকারী মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন। |
চকরিয়ায় রেলস্টেশনে ঢুকে পয়েন্টসম্যানকে কুপিয়ে জখম, কাজ বন্ধ রেখেছেন রেলকর্মীরা | কক্সবাজারের চকরিয়া রেলস্টেশনে ঢুকে রেলের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে স্টেশনের ভেতরে থাকা বেশ কয়েকটি চেয়ার-টেবিল। এক নারী যাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করার জেরে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এ হামলা চালান বলে অভিযোগ রেলকর্মীদের। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর থেকে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে অবস্থিত রেলস্টেশনটিতে সব কাজ বন্ধ রেখেছেন রেলকর্মীরা।
আহত রেলকর্মীর নাম ইকরাম হোসেন (৩২)। তিনি পয়েন্টসম্যান হিসেবে কর্মরত। তাঁকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনে আসা এক নারী চকরিয়া রেলস্টেশনে নামেন। এ সময় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে স্টেশন এলাকায় অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত স্থানীয় কয়েকজন যুবক ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করেন। রেলের কর্মীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পয়েন্টসম্যান ইকরাম হোসেনের ওপর হামলা চালান। তাঁর মাথায় ও হাতে কুপিয়ে জখম করা হয়। মারধর করা হয় রেলস্টেশনে নিয়োজিত রেলের আরও চার থেকে পাঁচ কর্মীকে। স্টেশনে থাকা চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করেন তাঁরা।
চকরিয়া রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার ফরহাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে চকরিয়া রেলস্টেশনে টিকিট বিক্রিসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, হামলার বিষয়টি শোনার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। রেলওয়ে পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কোনো মামলা করলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। | কক্সবাজারের চকরিয়া রেলস্টেশনে ঢুকে রেলের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে স্টেশনের ভেতরে থাকা বেশ কয়েকটি চেয়ার-টেবিল। এক নারী যাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করার জেরে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এ হামলা চালান বলে অভিযোগ রেলকর্মীদের। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর থেকে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে অবস্থিত রেলস্টেশনটিতে সব কাজ বন্ধ রেখেছেন রেলকর্মীরা। |
শেয়ারবাজারে ৮ প্রতিষ্ঠান পেল বিএসইসির পুরস্কার | শেয়ারবাজারে লেনদেন ও বিনিয়োগের সঙ্গে যুক্ত আট প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দিয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এক অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজারের নারী–বিষয়ক এক আলোচনা সভারও আয়োজন করে বিএসইসি। এ বছর সেরা ব্রোকার ডিলার হিসেবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ ও শান্তা সিকিউরিটিজ। সেরা মার্চেন্ট ব্যাংক হিসেবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস। আর সেরা সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে একাশিয়া এসআরআইএম ও আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।
এর বাইরে বিএসইসির তিন কর্মকর্তাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুর রহমান, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সমীর ঘোষ ও অফিস সহায়ক সুজন আলম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আবদুর রহমান খান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, আবদুল হালিম, রুমানা ইসলাম ও এ টি এম তারিকুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বড় ধরনের তফাত রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা অনেক এগিয়ে থাকলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে অনেক পিছিয়ে আছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নারীরা কেন পিছিয়ে রয়েছেন, তার কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে। নারীরা যাতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসেন, তার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা দরকার।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নারী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেন। তাঁরা শেয়ারবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের পিছিয়ে থাকার নানা কারণ তুলে ধরেন। | শেয়ারবাজারে লেনদেন ও বিনিয়োগের সঙ্গে যুক্ত আট প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দিয়েছে। |
ধোনির ১১০ মিটার ছক্কাই চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ | ৬ বলে ১৭ রান দরকার—এমন সমীকরণে প্রথম বলেই ছয় হাঁকিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যেনতেন ছক্কা নয়, বল রীতিমতো গ্যালারির ছাদে। দূরত্বের হিসাবে ১১০ মিটার। ধোনির বিশাল ওই ছক্কায় প্লে–অফে উঠতে প্রয়োজনীয় রান চলে আসে চেন্নাই সুপার কিংসের নাগালের মধ্যে।
তবে কাল রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারেনি চেন্নাই। ইয়াশ দয়ালের দ্বিতীয় বলে ধোনি আউট হওয়ার পর অন্যরাও বাকি রান তুলতে পারেননি। নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে ১০ রান দূরে থাকায় লিগ পর্ব থেকেই বিদায় হয়ে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের, শেষ চারে ওঠে বেঙ্গালুরু।
ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরু অধিনায়কসহ অনেকেই দয়ালের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ফাফ ডু প্লেসি তো নিজের ম্যাচসেরার পুরস্কারটি দয়ালেরই প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেছেন। তবে বেঙ্গালুরুরই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিকের কথায় মনে হতে পারে, দয়ালের দক্ষতা বিশেষ কাজে দেয়নি। কার্তিকের মতে, চেন্নাই শেষ চারে উঠতে পারেনি ধোনির ছক্কার কারণে।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে বিরাট কোহলিরা প্রথমে ব্যাট করে তোলেন ৫ উইকেটে ২১৮ রান। বেঙ্গালুরুর চেয়ে ২ এগিয়ে থাকায় চেন্নাইয়ের জয় জরুরি ছিল না, দরকার ছিল ২০১ রান, যাতে হারলেও রান রেটে এগিয়ে থাকা যায়। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শেষ দিকে বল ছিল ভেজা, বোলারদের জন্য গ্রিপ করা কঠিন ছিল।ওই অবস্থায় ম্যাচের শেষ ওভারে বল হাতে নেন দয়াল।
তাঁর লো ফুল টস প্রথম বলকেই গ্যালারির ছাদে আছড়ে ফেলেন ধোনি। এরপর কীভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরে গেছে, খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে সেটিই সতীর্থদের কাছে বিশ্লেষণ করেছেন কার্তিক। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় কার্তিকের ড্রেসিংরুমের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে এভাবে—‘ম্যাচে সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে ধোনির ছক্কা মাঠের বাইরে চলে যাওয়া। ফলে আমরা নতুন একটা বল পেয়েছি, যেটা বোলিংয়ের জন্য আগেরটার চেয়ে ভালো (শুকনো)।’
অপেক্ষাকৃত ভালো বল পাওয়ায় দয়ালের বল গ্রিপিংয়ে নিয়ন্ত্রণ বেড়েছে। আর সেটার ফল তো পরের পাঁচ বলেই দেখা গেছে। দ্বিতীয় বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট ১৩ বলে ২৫ রান করা ধোনি। আর শেষ চার বলে শার্দুল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাদেজারা নিতে পারলেন মাত্র ১ রান। চেন্নাইয়ের নাগালে থাকা প্লে–অফ টিকিটটা হাত ফসকে গেল এভাবেই। | ৬ বলে ১৭ রান দরকার—এমন সমীকরণে প্রথম বলেই ছয় হাঁকিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যেনতেন ছক্কা নয়, বল রীতিমতো গ্যালারির ছাদে। দূরত্বের হিসাবে ১১০ মিটার। ধোনির বিশাল ওই ছক্কায় প্লে–অফে উঠতে প্রয়োজনীয় রান চলে আসে চেন্নাই সুপার কিংসের নাগালের মধ্যে। |
যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক | যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকারের মেয়াদের অন্তত ছয় মাস আগে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বুধবার সারা দিন ওয়েস্টমিনস্টার ঘিরে নানা গুজবমুখর দিন পার করার পর বিকেলে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আগামী ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে রীতিমতো অবাক করে দিয়েছেন ঋষি সুনাক। ২ মে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর লেবার পার্টি সরকারের প্রতি আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল।
জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণায় ঋষি সুনাক বলেন, ব্রিটেনের ভিত্তিকে আরও বেশি নিরাপদ ও ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণে আপনি কাকে এবং কীভাবে বিশ্বাস করবেন?স্থানীয় নির্বাচনে অভূতপূর্ব ফল অর্জন করে ফুরফুরে মেজাজে থাকা বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণায় বলেন, নির্বাচন হলো ভালোর জন্য পরিবর্তনের সুযোগ এবং এই নির্বাচনের জন্য দেশ অপেক্ষা করছে। আগামী দিনে ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে যুক্তরাজ্য অনেক গর্ব ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার এসএনপির নেতা জন সুনে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটাই সুযোগ কনজারভেটিভ পার্টিকে বিদায় করে স্কটল্যান্ড ফার্স্টকে সামনে আনার।
নির্বাচনের আগাম ঘোষণার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আলবেনিয়ায় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন।
এদিকে আগাম জাতীয় নির্বাচন ঘোষিত হওয়ায় যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সব ব্যস্ততা স্থগিত ঘোষণা করেছে বাকিংহাম প্যালেস। যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রচরণায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট), করোনা মহামারি, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও সর্বশেষ গাজা পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাজ্যের রাজনীতি ও অর্থনীতি বেশ টালমাটাল। ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি ২০১০ সাল থেকে টানা তিনবার ক্ষমতায় আছে, কিন্তু নেতৃত্বে টেকসই নয়। গত ১৫ বছরে দলটি অন্তত পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু অর্থনীতিতে তেমন পরিবর্তন আসেনি।
মুদ্রাস্ফীতির কারণে দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি মূল্য ও সুদহার বেড়েছে কয়েক গুণ। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আকাশচুম্বী। এমতাবস্থায় ২ মে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয় ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির। | যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকারের মেয়াদের অন্তত ছয় মাস আগে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বুধবার সারা দিন ওয়েস্টমিনস্টার ঘিরে নানা গুজবমুখর দিন পার করার পর বিকেলে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আগামী ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসে। |
টেক জায়ান্টরা যেভাবে গাজায় গণহত্যার ‘সহযোগী’ | গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনার অল্প কিছু পরে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন। এতে ফিলিস্তিনিদের কথা উল্লেখ না করে তিনি ইসরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। মেটা, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, আইবিএমসহ অন্য প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরাও ইসরায়েলের প্রতি তাদের ব্যাপক সমর্থন জানান।
এরপর থেকে তাঁরা অনেকাংশেই নীরব রয়েছেন। এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে নির্বিচার হত্যা করেছে, যার মধ্যে ১৪ হাজার ৫০০-এর বেশি শিশু রয়েছে। শত শত স্কুল, সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো, মসজিদ এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো ধ্বংস করেছে।
এই জঘন্য পর্যায়ের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তা নিয়েছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রোগ্রামগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ব্যবহারকারীদের সামান্য তদারকিতেই লক্ষ্য তৈরি করা যায়।
বিদেশি টেক জায়ান্টরা এই প্রকল্পগুলোর সঙ্গে কতটা সরাসরি জড়িত, তা স্পষ্ট নয়। তবে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে তারা উন্নত কম্পিউটার চিপস, সফটওয়্যার এবং ক্লাউড কম্পিউটিংসহ এ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মূল অবকাঠামোর অনেকটাই সরবরাহ করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় চালানো এই গণহত্যার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো নীরবে ইসরায়েলের সঙ্গে যথারীতি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলে অবস্থিত একটি চিপ প্ল্যান্টে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ইন্টেল। অন্যদিকে মাইক্রোসফট দেশটিতে একটি নতুন ‘অ্যাজিউর’ ক্লাউড অঞ্চল চালু করেছে।
এগুলোর কোনোটিই বিস্ময়কর ঘটনা নয়। কয়েক দশক ধরে সিলিকন ভ্যালি ইসরায়েলি বর্ণবাদী শাসকগোষ্ঠীকে সমর্থন করে আসছে, দেশটির অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং ফিলিস্তিন দখল করতে প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ এবং বিনিয়োগ করছে। বিশ শতকের দক্ষিণ আফ্রিকায়ও সংস্থাটি এমন কাজ করেছিল। এখনকার বৃহত্তম মার্কিন প্রযুক্তি করপোরেশনগুলো ইসরায়েলি বর্ণবৈষম্য থেকে মুনাফার একটি সুযোগ দেখতে পাচ্ছে, এটা যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ডিজিটাল উপনিবেশবাদের একটি উপজাত৷
বৃহৎ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন উপায়ে ইসরায়েলের দখল, স্থানান্তরকরণ ও ফিলিস্তিনিদের হেনস্তার মতো অবৈধ কাজের সহযোগী। এর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টি হলো ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর নজরদারিতে সহায়তা করা।
২০২১ সালের মার্চ মাসে গুগল ও অ্যামাজন ইসরায়েলি সরকার এবং প্রতিরক্ষা সংস্থাকে ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবার দেওয়ার জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এ দুই কোম্পানি ইসরায়েলকে চেহারা শনাক্তকরণ, আবেগ শনাক্তকরণ, বায়োমেট্রিক, জনমিতি–সংক্রান্ত তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। এটা ‘প্রজেক্ট নিম্বাস’ নামে পরিচিত।
গুগল এবং অ্যামাজনকর্মীরা ‘বর্ণবাদের জন্য প্রযুক্তি নয়’ (নো টেক ফর অ্যাপার্থিড) ক্যাম্পেইন চালুর মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিটি বাতিলের দাবি করার পর এটি মূলধারার সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট মনোযোগ পায়। এ রকম প্রতিক্রিয়া পূর্বানুমান করে গুগল ও অ্যামাজন তাদের পরিষেবা অব্যাহত রাখার গ্যারান্টি দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এখন পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থানে অনড় এবং ইসরায়েলকে ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা সরবরাহ করে চলছে।
‘নিম্বাস’ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জনসাধারণের কাছে গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু গুগলের কর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এটি ইসরায়েলের এআইনির্ভর সামরিক গণহত্যাকে সহায়তা দিচ্ছে। এ উদ্বেগ আরও বেড়েছে যখন এ রকম খবর প্রকাশিত হয়েছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় বোমা হামলার লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য একটি এআইচালিত সিস্টেম ব্যবহার করছে।
এরই মধ্যে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলমান গণহত্যা সত্ত্বেও গুগল সরাসরি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। কোম্পানিটি ইসরায়েলি বাহিনীকে তার সম্ভাব্য ‘হিট লিস্ট’–এর জন্য গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের মুখ স্ক্যান করতে গুগল ফটোসের চেহারা শনাক্তকরণ পরিষেবা ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে।
এআইয়ের সহায়তায় গণহত্যা ‘টিপ অব দ্য আইসবার্গ’ (হিমশৈলের অগ্রভাগ টিপ) মাত্র। কয়েক দশক ধরে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো এবং বিনিয়োগকারীরা নীরবে ইসরায়েলের ডিজিটাল বর্ণবৈষম্যের ব্যবস্থাকে সহায়তা করে আসছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর উদাহরণগুলোর একটি হলো আইবিএম। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী রেজিমকে যারা কম্পিউটার সরবরাহ করেছিল, প্রতিষ্ঠানটি তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রযুক্তিগত এই সহায়তা নিয়ে দেশটির সরকার বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফিলিস্তিনি ও সিরিয়ার ভূমি এবং জনসংখ্যার ওপর ইসরায়েলের দখলদারির বাণিজ্যিক সম্পৃক্ততা উদ্ঘাটনের জন্য নিবেদিত একটি স্বাধীন গবেষণা কেন্দ্র ‘হু প্রফিটস’। এই সংস্থাটির মতে, আইবিএম ইসরায়েলি জনসংখ্যা, অভিবাসন এবং সীমান্ত কর্তৃপক্ষকে (পিআইবিএ) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে। তারা দখলকৃত অঞ্চলে থাকা ফিলিস্তিনি এবং সিরিয়ার জনগণের ওপর নানাভাবে নজরদারি চালায়।
ইসরায়েলের ‘পারমিট’ সিস্টেমের একটি শর্ত হলো ১৬ বছরের বেশি বয়সী ফিলিস্তিনিদের ছবি, ঠিকানা, আঙুলের ছাপ এবং অন্যান্য বায়োমেট্রিক শনাক্তকারীসহ ‘স্মার্ট’ কার্ড বহন করতে হবে। অনেকটা বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার ‘পাসপোর্ট’ ব্যবস্থার মতো। এ কার্ডগুলো পারিবারিক পুনর্মিলন, ধর্মীয় আচার বা বিদেশভ্রমণসহ যেকোনো উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি চেকপয়েন্টগুলোর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পারাপার হওয়ার অধিকার নির্ধারণ করে।
ইসরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থাকে সহায়তা করার পাশাপাশি, সিলিকন ভ্যালি ইসরায়েলি ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন খাতকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করছে। তারা একটি উচ্চ প্রযুক্তির আধুনিক অর্থনীতি বজায় রাখতে এবং তার বিকাশে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজন, গুগল এবং মাইক্রোসফট—সবাই ইসরায়েলে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্লাউড কম্পিউটিং কেন্দ্র চালু করেছে। এটা তথ্য দ্বারা পরিচালিত পণ্য এবং পরিষেবাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অবকাঠামো সরবরাহ করে। ইন্টেল হলো দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৭৪ সালে সেখানে কার্যক্রম শুরু করে।
অন্যান্য শতাধিক বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে মাইক্রোসফট ইসরায়েলে নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি হাইফাতে একটি চিপ উন্নয়ন কেন্দ্র চালু করেছে। এনভিডিয়া নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চিপ তৈরিতে ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই তালিকা অনেক লম্বা। ইসরায়েলের অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক ভূমিকা দৃশ্যমান রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও ইসরায়েলি বর্ণবাদ এবং দখলদারির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালে মেটা পরিচালিত একটি ‘বহিরাগত’ প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নীতিমালাগুলো ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এবং ইসরায়েলের পক্ষে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ সেন্সরশিপের দীর্ঘকালের এই চর্চা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গত ডিসেম্বরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল, মেটা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনিপন্থী পোস্টগুলো গায়েব ও সেন্সর করা অব্যাহত রয়েছে। একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী প্রায় সব পোস্টের বিষয়বস্তু ছিল শান্তিপূর্ণ এবং এগুলো সেন্সর করা হয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাত থেকে এই পোস্টগুলো অপসারণ করা হয়েছে। সংস্থাটি (মেটা) এমনকি ‘জায়নবাদী’ শব্দটি সেন্সর করার কথাও বিবেচনা করছে।
অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থী কণ্ঠকে সেন্সর করার অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউব এবং এমনকি চীনের মালিকানাধীন টিকটক। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা সরকারগুলো ‘সন্ত্রাসী’ বা ফিলিস্তিনের সমর্থক হিসেবে বিবেচিত বিষয়বস্তু পর্যালোচনা এবং সেন্সর করার জন্য বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংস্থাগুলোকে চাপ দিচ্ছে।
বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর সেন্সরশিপ দৈনন্দিন ব্যবহারকারীদের ছাড়াও অন্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হামাসের মতো রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। অন্যদিকে তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, সরকার ও অন্য ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সহিংস পোস্টের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ দেয়নি।
এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয় যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৃহৎ টেক কোম্পানিগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে অংশীদারত্ব বজায় রেখেছে, দেশটিতে বিনিয়োগ করছে এবং গণহত্যা ও বর্ণবাদী কার্যকলাপকে সমর্থন করছে। এই বৃহৎ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আধুনিক দিনের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এরা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী শক্তির একটি সম্প্রসারিত রূপ। এরা বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতিকে দখল করেছে এবং উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে বিভাজনকে শক্তিশালী করেছে। ফলে ডিজিটাল অবকাঠামো এবং জ্ঞান ও মেধার মালিকানার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দক্ষিণ থেকে সম্পদ আহরণ ও মুনাফা অর্জন করছে।
ডিজিটাল ঔপনিবেশিকতা বৃহৎ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুধু মুনাফার জন্য নয়, তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক স্বার্থের জন্য কাজ করে। এভাবে তারা লাভবান হয়।
ইসরায়েলের জন্য প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমর্থন তাদের ভুয়া ভাবমূর্তি উন্মোচন করেছে। এই কোম্পানিগুলো বর্ণবাদবিরোধী ও মানবাধিকারকে সমর্থন করে—তাদের এমন দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বাস্তবে তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অন্য অঙ্গগুলোর মতোই অপরাধে জড়িত। আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি, তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্টদের দ্বারা পরিচালিত মার্কিন-ইসরায়েলি বর্ণবাদ, ঔপনিবেশিক দখলদারত্ব এবং গণহত্যা।
গাজায় গণহত্যা নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা সরকারগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ তৈরি হয়েছে। পশ্চিমা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তার জন্য মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের স্পষ্ট দায় রয়েছে। তারা ইতিহাসের ভুল দিকে রয়েছে, ঠিক যেমন তারা বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিল। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য জনমত তৈরি হচ্ছে।
মিচেয়েল কোয়েট ইয়েল ল স্কুলের ইনফরমেশন সোসাইটির ভিজিটিং ফেলোআল–জাজিরা থেকে নেওয়া। অনুবাদ: মনজুরুল ইসলাম | গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনার অল্প কিছু পরে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন। এতে ফিলিস্তিনিদের কথা উল্লেখ না করে তিনি ইসরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। মেটা, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, আইবিএমসহ অন্য প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরাও ইসরায়েলের প্রতি তাদের ব্যাপক সমর্থন জানান। |
বুদ্ধের শিক্ষায় অশান্ত বিশ্বে শান্তি নামুক | রাজা শুদ্ধোধন ও রানি মহামায়া দম্পতির দীর্ঘ সাংসারিক জীবনে প্রথম দিকে কোনো সন্তান তখনো জন্মগ্রহণ করেনি। অবশেষে দীর্ঘ সময় পর বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে তাঁদের কোল আলোকিত করে জন্ম নিল এক পারমীপূর্ণ সত্ত্ব। এদিকে দীর্ঘ সময় পর মনের ইচ্ছা সিদ্ধি লাভ করায় পিতা রাজা শুদ্ধোধন নবজাতকের নাম রাখলেন সিদ্ধার্থ।
বুদ্ধত্ব লাভের জন্য সত্ত্বগণকে কোটি কোটি কল্প ধরে বোধিসত্ত্ব রূপে নানা যোনিতে জন্মগ্রহণ করে পারমী পূর্ণ করতে হয়। অবশেষে পারমী পরিপূর্ণ হলে বোধিসত্ত্ব অভিসম্বুদ্ধ হন। সম্যক সম্বুদ্ধত্ব লাভের পর ধর্মচক্র প্রবর্তন করেন এবং একসময় মহাপরিনির্বাণ সাক্ষাৎ করেন।
জগতে নির্দিষ্ট কালের জন্য প্রবর্তিত এই ধর্ম প্রচলিত থাকে; পরে এর বিলোপ হয়। তখন নষ্টসত্যের পুনরুদ্ধার করে জগতের পরিত্রাণহেতু নতুন কোনো বুদ্ধের আবির্ভাব ঘটে। বর্তমান মহাভদ্র কল্পের চতুর্থ সম্যক সম্বুদ্ধ গৌতম সম্যক সম্বুদ্ধ এই ধারাবাহিকতার অংশমাত্র।
জন্মজন্মান্তরে ৩০ প্রকার পারমী পরিপূরণ করে মনুষ্যলোকের শেষ জন্ম রাজা বিশ্বন্তরের দানশীল ও পরম ত্যাগী জীবন সম্পন্ন করে তিনি তুষিত স্বর্গে আরোহণ করেন। তুষিত স্বর্গের পরমায়ু অনুযায়ী, সেখানে সন্তোষিত দেবপুত্র হয়ে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ বছর অবস্থান করেন। মূলত সেখান থেকে চ্যুত হয়েই তিনি রাজা শুদ্ধোধন এবং রানি মহামায়ার সংসারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তিনি সত্ত্ব হিসেবে বুদ্ধাঙ্কুর (বোধিসত্ত্ব)। সংসারের মায়াজালে আটকে থাকার জন্য তাঁর জন্ম হয়নি। এটা পিতা শুদ্ধোধনও শুরু থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি প্রথমবার বুঝতে পেরেছিলেন ঋষি অসিত দেবলের মাথার ওপরে নবজাতক শিশু সিদ্ধার্থের পা রাখার ঘটনায়।
সিদ্ধার্থের জন্মের ঘটনায় দেবলোকেও আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। বুদ্ধাঙ্কুর সিদ্ধার্থের জন্মের কথা জেনে স্বর্গ থেকে ঋষি অসিত দেবল সিদ্ধার্থকে পুণ্যদর্শন করতে এসেছিলেন। ঋষি অসিত দেবলের মাথার ওপরে নবজাতক শিশু সিদ্ধার্থের পা রাখার ঘটনাটি তখন ঘটে যায়। এই দৃশ্য দেখে পিতা শুদ্ধোধন চরমভাবে ঘাবড়ে যান। পরে ঋষি অসিত দেবল স্বয়ং জানালেন মহারাজ আপনার এই সন্তান সাধারণ কেউ নন; তিনি এই জগৎসংসারের ভাবী সম্যক সম্বুদ্ধ।
রাজা শুদ্ধোধন দ্বিতীয়বার আরও একটি ঘটনার সাক্ষী হলেন। একদিন শিশু সিদ্ধার্থ সারা দিন জম্বুবৃক্ষমূলে ধ্যানস্থ হয়ে বসেছিলেন। এদিকে তাঁর কষ্ট হবে বলে ওই বৃক্ষের ছায়া নিশ্চল হয়ে থেকে গিয়েছিল। কী আশ্চর্য! কী অদ্ভুত! পিতা শুদ্ধোধন ভালো করেই বুঝতে পারলেন, তাঁর নয়নের মণি সিদ্ধার্থ সাধারণ কোনো সত্ত্ব নন।
সিদ্ধার্থকে সংসারে ধরে রাখতে একজন পিতা হিসেবে এবং একজন রাজা হিসেবে যা যা করার থাকে, তার চেয়েও বেশি চেষ্টা করেছেন। তবু রাজকুমার সিদ্ধার্থকে সংসারে ধরে রাখা যায়নি। চারি নিমিত্ত দর্শন করে ২৯ বছর বয়সে তিনি সংসার পরিত্যাগ করলেন।
ছয় বছর কঠোর সাধনা বলে ৩৫ বছর বয়সে অবশেষে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে তিনি গয়ার বোধিদ্রুমমূলে বসে সর্বজ্ঞতা তথা বুদ্ধত্ব লাভ করলেন।
বুদ্ধত্ব লাভের পর বুদ্ধ সাত সপ্তাহ গয়ার বোধিদ্রুমকে কেন্দ্র করে অতিবাহিত করেন। অবিস্মরণীয় নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সেখানে বুদ্ধের সাত সপ্তাহ কাটে। এরপর বুদ্ধ নবলব্ধ জ্ঞান প্রচারের জন্য সারনাথের উদ্দেশে ধর্মযাত্রা শুরু করলেন।
শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ সারনাথের ঋষিপতন মৃগদাবে বসে পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উপলক্ষ করে জগতে প্রথম ধর্মচক্র প্রবর্তন করেন। বুদ্ধ কর্তৃক মধ্যম পন্থার মাহাত্ম্য বর্ণনা, চারি আর্যসত্যের বিস্তর বর্ণনা, আর্যঅষ্টাঙ্গিক মার্গসংবলিত সদ্ধর্ম দেশনা শ্রবণ করে পর্যায়ক্রমে তাঁরা সকলে অর্হৎ মার্গ ফলে প্রতিষ্ঠিত হন।
জগতে বুদ্ধের পরে ওই পঞ্চবর্গীয় শিষ্যরাই হলেন প্রথম অর্হৎ ভিক্ষুসংঘ। পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বুদ্ধের এই ধর্ম অভিযান চলে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর্যন্ত। একদিকে চারি পরিষদ গঠন এবং তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার কর্মযজ্ঞ, অপর দিকে ধর্ম প্রচার অভিযানের মাধ্যমে সত্ত্বগণকে দুঃখমুক্তির পথ দেখানোর ব্রত বুদ্ধ সমানেই করে গেছেন।
অবশেষে ৮০ বছর বয়সে হিরণ্যবতী নদীর অপর পাড়ে কুশিনগরের উপবর্ত্তনস্থ জোড়া শালবৃক্ষের নিচে নির্বাণশয্যায় শায়িত হলেন। সেদিনও ছিল শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা। বুদ্ধ নামের যে মহাসূর্য শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে উদিত হয়েছিলেন; জগৎকে মুক্ত জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করে পুনরায় শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে অস্তমিত হলেন।
রাজকুমার সিদ্ধার্থের জন্ম, বোধিলাভ এবং তথাগত বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ সাক্ষাৎ এই তিন কালজয়ী ঘটনা বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে সংঘটিত হয়। তাই বৈশাখী পূর্ণিমার অপর নাম বুদ্ধপূর্ণিমা। এই আনন্দক্ষণে অশান্ত বিশ্বের শান্তি বর্ষিত হোক।
● প্রজ্ঞানন্দ থের রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার | রাজা শুদ্ধোধন ও রানি মহামায়া দম্পতির দীর্ঘ সাংসারিক জীবনে প্রথম দিকে কোনো সন্তান তখনো জন্মগ্রহণ করেনি। অবশেষে দীর্ঘ সময় পর বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে তাঁদের কোল আলোকিত করে জন্ম নিল এক পারমীপূর্ণ সত্ত্ব। এদিকে দীর্ঘ সময় পর মনের ইচ্ছা সিদ্ধি লাভ করায় পিতা রাজা শুদ্ধোধন নবজাতকের নাম রাখলেন সিদ্ধার্থ। |
ইরিতে চাকরি, বেতন ১ লাখ ৭৭ হাজার, আছে মাতৃত্বকালীন ভাতা | আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট কো–অর্ডিনেটর—প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশন পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। প্রার্থীদের বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর-প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশনপদসংখ্যা: ১যোগ্যতা: এগ্রিকালচার বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রিসহ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে অন্তত চার বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা এগ্রোনমি বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে অন্তত এক বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। উপস্থাপনা ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। হাওর অঞ্চলে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কোনো আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থায় চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
কর্মস্থল: বাংলাদেশ অফিস, ঢাকাবেতন: মাসিক বেতন ৯৪,৭৯৮ থেকে ১,৭৭,৪৪৩ টাকা।সুযোগ-সুবিধা: মাসিক বেতন ছাড়াও রয়েছে মূল বেতনের ৩০ শতাংশ বাসাভাড়া, উৎসব বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, যাতায়াত ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, স্বাস্থ্যবিমাসহ অন্যান্য সুবিধা।
প্রার্থীদের ইরির ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply বাটনের লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৬ মে ২০২৪। | আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট কো–অর্ডিনেটর—প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশন পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। প্রার্থীদের বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। |
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের গোপন সম্পদের পাহাড়, কার কত | সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। আকাশচুম্বী অট্টালিকার এ শহরে তাঁদের একেকজনের লাখ লাখ ডলার মূল্যের সম্পদের মালিকানা। এ তালিকায় রয়েছেন বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, এমনকি অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও।
একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প দুবাইয়ে বিভিন্ন দেশের অভিজাতদের কার মালিকানায় কত সম্পদ আছে, গতকাল মঙ্গলবার তা প্রকাশ করেছে। এতে রয়েছে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মতো ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাবও।
‘দুবাই আনলকড’ নাম দেওয়া এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে।
ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরতে কয়েক মাস ধরে দুবাইয়ের কয়েক শ ভূমি নিবন্ধন নথি খুঁটিয়ে দেখেছেন পত্রিকাটির সাংবাদিকেরা। বিশ্বের কোন কোন ধনকুবের শহরটিতে সম্পদের মালিক ও সেখানে কী পরিমাণ সম্পদ তাঁদের রয়েছে, সেসব জানার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।
সব মিলিয়ে ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তাঁরা।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাঁদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। শুরুতেই রয়েছে ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানির নাম। তাঁর নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তাঁর আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
ভারতীয় নাগরিক এম এ ইউসুফ আলী ও তাঁর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে তাঁদের ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
আরেক ভারতীয় শামশীর ভায়ালিলের সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলারের। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রোডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।
ওমানের নাগরিক সুহাইল বাহওয়ান ১৯০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তাঁর সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তাঁর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।
সাইপ্রাসের নাগরিক বিনোদ আদানি ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। তাঁর সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তাঁর ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তাঁর ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নাগরিক সকেট বর্মনের সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে তাঁর ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।
সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।
মিসরের নাগরিক নগিব সাবিরিস ও তাঁর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ১ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের এ তালিকায় রয়েছে দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষার পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
এ তালিকায় নাম রয়েছে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, দুই মেয়ে বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা ভুট্টো জারদারি; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী মিসেস আশরাফ; সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের।
এ ছাড়া তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের নাম যেমন রয়েছে, তেমন নাম রয়েছে ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদেরও। আরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও। | সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। আকাশচুম্বী অট্টালিকার এ শহরে তাঁদের একেকজনের লাখ লাখ ডলার মূল্যের সম্পদের মালিকানা। এ তালিকায় রয়েছেন বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, এমনকি অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও। |
৪০তম বিসিএসের ৪ এএসপি চাকরি ছাড়লেন | ৪০তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের চারজন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) চাকরি ছেড়েছেন। তাঁরা হলেন মো. মেহেদী হাছান পাটোয়ারী, মো. ঝন্টু আলী, তাসওয়ার তানজামুল হক ও আমিনুল ইসলাম। তাঁরা শিক্ষানবিশ হিসেবে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। চার এএসপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ এপ্রিল থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রজ্ঞাপনে এই চার কর্মকর্তা কেন চাকরি ছেড়েছেন, তার কারণ জানানো হয়নি। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চার পুলিশ কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দেন। | ৪০তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের চারজন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) চাকরি ছেড়েছেন। তাঁরা হলেন মো. মেহেদী হাছান পাটোয়ারী, মো. ঝন্টু আলী, তাসওয়ার তানজামুল হক ও আমিনুল ইসলাম। তাঁরা শিক্ষানবিশ হিসেবে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। চার এএসপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ এপ্রিল থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। |
শৈলকুপায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর | ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশ, দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্দেখালী গ্রামে পরাজিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম হোসেন মোল্যার সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন এবং জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেজা মন্নুর পক্ষে আতিয়ার রহমান নির্বাচন করেন। এ নিয়ে আবুল হোসেন ও আতিয়ারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের আজ সকাল ৯টার দিকে শুরু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল ৯টার দিকে দেশি অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা হামলা করেন।
সংঘর্ষের সময় বন্দেখালী গ্রামের তাইজুল ইসলাম, হাসেম মাস্টার, আলামিন হোসেন, মিরাজ, মালেক মণ্ডল, শাহাদত হোসেন, কনক হোসেন, জাহিদ হোসেন, রিজিয়া খাতুন, শফিকুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান, মজিবর রহমান, ইদ্রিস আলী, রুপচাদ, শরিফুল ইসলাম, হামিদুল, স্বপন, রিপন, আলম, আহম্মেদ, আলম হোসেন, জিয়ারুল, আবদুল রাজ্জাক, আবদুর রশিদ ও পচা মণ্ডলের বাড়িসহ ৪০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আকমল, জলিল, পঁচা মণ্ডল, আবেদ, আকুলসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, বন্দেখালী গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ইন্ধনে পরাজিত প্রার্থী শামীম হোসেনের সমর্থকেরা হিংসার বশবর্তী হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা করেছেন। এ সময় ৪০টির বেশি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
পরাজিত প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্যা অভিযোগ করেন যে ভোটের ফলাফলের পর থেকে তাঁর শত শত সমর্থক বাড়িঘরে যেতে পারছেন না। এমন অবস্থায় কীভাবে তাঁরা হামলা করবেন? এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। আরিফ রেজার সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, সকালে বন্দেখালী গ্রামে জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। | ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। |
নওগাঁর তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ২৫ প্রার্থী | ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত মঙ্গলবার নওগাঁর তিন উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৪৬। এর মধ্যে ২৫ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে নির্বাচন কমিশনে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পোরশায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট ২০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ১৪ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। পোরশায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ১৭০ জন। চেয়ারম্যান পদে মোট চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ পদে ভোট পড়েছে ৬৯ হাজার ৬৯৪। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট, যা পাননি এক প্রার্থী। ফলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। ওই প্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৯৫।
পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ২৬ হাজার ২০৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ২২ হাজার ৪৬৭ ভোট।
পোরশায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী ছাড়া বাকি ৯ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ পদে ভোট পড়েছে ৬৯ হাজার ৫৭৩। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১০ হাজার ৪৩৫ ভোট। এই পরিমাণ ভোট পাননি ৯ প্রার্থী। এখানে বই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মাহমুদুল হাসান ১৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চারজনই জামানত হারাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৬৯ হাজার ৫২৬। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১০ হাজার ৪২৮ ভোট। এই পরিমাণ ভোট পাননি চার প্রার্থী। এখানে হাঁস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মমতাজ বেগম ২৯ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, নিয়ামতপুরে চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে দুজন জামানত হারাচ্ছেন। মোট ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৭৫৬ জন। চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১২৭। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৬৮ ভোট, যা পাননি দুই প্রার্থী। জামানত হারাতে বসা দুই প্রার্থী হলেন আবেদ হোসেন ও সোহরাব হোসেন। আবেদ হোসেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
নিয়ামতপুরে চেয়ারম্যান পদে জয় পাওয়া প্রার্থী সোহরাব হোসেনের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। ৩৯ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে জয় পান তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৬ ভোট।
নিয়ামতপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। এ পদে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৭। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৫২ ভোট। এই পরিমাণ ভোট পাননি তিন প্রার্থী। এখানে রায়হান কবির চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৪১ হাজার ২৪১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন একজন। এ পদে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৭৪। এর ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৪৬ ভোট। এই পরিমাণ ভোট পাননি এক প্রার্থী। এখানে হাঁস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে নাজমিন আরা খাতুন ৪৩ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাপাহারে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৯। এখানে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৪৮৩। এর ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১১ হাজার ৬২২ ভোট, যা পাননি এক প্রার্থী। জামানত হারানো ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম নার্গিস সরকার। তিনি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এখানে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে শাহজাহান হোসেন মণ্ডল ৩৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সাপাহারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৪৮৩। এর ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১১ হাজার ১৩ ভোট। এই পরিমাণ ভোট পাননি দুই প্রার্থী। এখানে নইমুদ্দীন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৪২ হাজার ২১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এ পদে ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৪৮৩। এর ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১১ হাজার ১৩ ভোট, যা পাননি দুই প্রার্থী। এখানে কলস প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. ফাহিমা। | ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত মঙ্গলবার নওগাঁর তিন উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৪৬। এর মধ্যে ২৫ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। |
ক্রুসকে মদরিচের খোলা চিঠি: বন্ধু, আমি তোমাকে মিস করব | ফুটবলে গোলই শেষ কথা হলেও খেলাটির প্রাণ মাঝমাঠ। খেলাটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় মাঝমাঠ থেকেই। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এ কাজটা এক দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাচ্ছেন টনি ক্রুস ও লুকা মদরিচ।
তবে ২০২৩–২৪ মৌসুম শেষে ক্রুস–মদরিচকে আর একসঙ্গে দেখা যাবে না। জার্মান মিডফিল্ডার ক্রুস যে কাল সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের মাঠে ২০২৪ ইউরো খেলেই বুটজোড়া চিরতরে তুলে রাখবেন ৩৪ বছর বয়সী তারকা।
ক্রুসের এমন আকস্মিক খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্তে আরও অনেকের মতো মদরিচও ব্যথিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রিয় সতীর্থের উদ্দেশে লেখা খোলাচিঠির প্রায় পুরোটাকেই আবেগঘন ভাষা ব্যবহার করেছেন ৩৮ বছর বয়সী ক্রোয়েশিয়ান তারকা।
ইনস্টাগ্রামে স্প্যানিশ ভাষায় লেখা চিঠির শুরুতেই মদরিচ লিখেছেন, ‘প্রিয় টনি, এই কথাগুলো লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে। একজন ঐতিহাসিক ফুটবলার চলে যাওয়ায় (অবসর নিতে চলায়) ফুটবল-বিশ্ব আজ শোকাহত এবং আমি তোমার কাছে স্বীকার করছি, আমিও খুব দুঃখিত। ভাই, তুমি এই খেলার কিংবদন্তি এবং রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি।’
রিয়ালের হয়ে একসঙ্গে ১০ বছরে ২১টি ট্রফি জিতেছেন মদরিচ–ক্রুস। মাঠে ক্রুসের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো সম্পর্কে মদরিচ লিখেছেন, ‘তোমার পাশে খেলা আমি সত্যিই উপভোগ করেছি। তোমার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের মাঝমাঠ ভাগাভাগি করতে পারা সত্যিই সম্মানের। অবিস্মরণীয় ইউরোপীয় রাত, শিরোপা, বার্নাব্যুর জাদু...আমাদের প্রাণের ক্লাবের এই সোনালি সময় কখনোই ভুলব না।’
ক্রুসকে বিশেষ ফুটবলার উল্লেখ করে মদরিচ আরও লিখেছেন, ‘তোমার মধ্যে এমন গুণাবলি আছে, যেগুলো তোমাকে অনন্য ও বিশেষ ফুটবলার করে তুলেছে এবং আরেকজন টনি ক্রুস কখনো আসবে না।’
আগামী ১ জুন রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলতে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। লস ব্লাঙ্কোদের জার্সিতে সেটাই হবে ক্রুসের শেষ ম্যাচ। ম্যাচটা জিতলেই ১৫তম বারের মতো ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পেয়ে যাবে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
চিঠির শেষে মদরিচ সেই লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন, ‘তুমি সবকিছুই অর্জন করেছ, তবু একটি জিনিস বাকি আছে। ১৫–এর জন্য আমরা একসঙ্গে লড়ব। বন্ধু, আমি তোমাকে মিস করব।’
মদরিচের এই আবেগঘন বার্তা দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেননি ক্রুস। তিনি লিখেছেন, ‘তোমার সঙ্গে অনেক অনেক স্মৃতি আছে...কী দারুণ। এই ভালোবাসা চিরকাল থাকবে আমার বন্ধু!’ | ফুটবলে গোলই শেষ কথা হলেও খেলাটির প্রাণ মাঝমাঠ। খেলাটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় মাঝমাঠ থেকেই। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এ কাজটা এক দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাচ্ছেন টনি ক্রুস ও লুকা মদরিচ। |
ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে এবার আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের | মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য তিনি দলমত–নির্বিশেষে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কাজ করবেন। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি আদালতটিতে জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের এক শুনানিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘অত্যন্ত একরোখা এ সিদ্ধান্তের’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তিনি বদ্ধপরিকর। রিপাবলিকানরা যখন আইসিসির কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ নিচ্ছে, তখনই এমন মন্তব্য করলেন ব্লিঙ্কেন। আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবটির বিষয়ে শিগগিরই ভোটাভুটি হতে পারে।
গত সোমবার আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের তিন নেতার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তিনি। তাঁরা হলেন গাজায় হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডসের কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ এবং সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। তবে এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ আদালতটির বিভিন্ন বিচার কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।
গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে রিপাবলিকান সিনেটর জেমস রিশক জানতে চান, যেসব দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন, বৈধ ও গণতান্ত্রিক, তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো থেকে আইসিসিকে বিরত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আইন প্রণয়নে ব্লিঙ্কেন সমর্থন দেবেন কি না।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দলের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য আমরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। এমনটা করতে আমি বদ্ধপরিকর।’
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘নিঃসন্দেহে একরোখা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।’
ইতিমধ্যে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে দুটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য চিপ রয় যে বিলটি উত্থাপন করেছেন, সেটির প্রতি কংগ্রেস সদস্যদের আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিলটির নাম ইলেজিটিমেট কোর্ট কাউন্টার অ্যাকশন অ্যাক্ট। এতে বলা হয়েছে, আইসিসি যদি যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষিত ব্যক্তি এবং তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল না করে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ, তাঁদের বর্তমান মার্কিন ভিসা প্রত্যাহার এবং দেশটিতে লেনদেন নিষিদ্ধ করতে হবে।
রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদের অন্তত ৩৭ জন আইনপ্রণেতা বিলটিকে কো-স্পনসর করছেন। এর মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের তৃতীয় সর্বোচ্চ রিপাবলিকান নেতা এলিসে স্টেফানিকও আছেন। | মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য তিনি দলমত–নির্বিশেষে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কাজ করবেন। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি আদালতটিতে জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। |
সাতক্ষীরায় জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন | সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করে প্রবহমান করা, সরকারি উদ্যোগে পতিত জায়গায় স্থানীয় জাতের বৃক্ষরোপণ, পাখির অভয়াশ্রম তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ ও পাখি শিকার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন। এ ছাড়া সব প্রাণের জন্য পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য শহর তৈরির লক্ষ্যে অন্তত ২০ ভাগ বনভূমি ও ১৫ ভাগ জলাভূমি নিশ্চিত করা, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় সকল শ্রেণি–পেশার মানুষের মতামত গ্রহণ ও পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সর্বোপরি প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি সদয় আচরণ করার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, মানবসভ্যতা রক্ষা করতে হলে প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার বিকল্প নেই। আর প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় জলাধার ও বনায়নের গুরুত্ব সর্বাধিক। অথচ সাতক্ষীরায় ইচ্ছেমতো গাছ কাটা হচ্ছে; কিন্তু গাছ লাগানো হচ্ছে না। প্রতিবছর গাছ লাগানোর যে হিসাব দেওয়া হয়, তা সঠিক নয়। সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে রিসোর্ট, কলকারখানা ও ভবন নির্মাণ করা যাবে না বলে আইন থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। জেলায় কোনো ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে ইটভাটা। ফলে জীববৈচিত্র্য ও সবুজবেষ্টনী নষ্ট হচ্ছে।
মানববন্ধনে জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, ইদ্রিস আলী, নাগরিক নেতা আলী নুর খান, শহীদুল ইসলাম, বিপ্লব হোসেন, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের মুশফিকুর রহিম, বারসিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, তামান্না খাতুন, বৈশাখী খাতুন প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রাণবৈচিত্র্যসমৃদ্ধ একটি দেশ। কিন্তু সচেতনতার অভাবে ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে সবকিছু ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। | সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এ কর্মসূচির আয়োজন করে। |
আইএমএফের সন্তুষ্টি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির নাকি শঙ্কার | করোনা–পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি আমদানির ব্যয় বেড়ে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে ব্যাপক টান পড়ে। এরপর বাংলাদেশকে অনন্যোপায় হয়েই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হতে হয় ঋণের আশায়।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার শর্তসহ অন্যান্য শর্তে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়।
বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়ানো, জুন ২০২৩–এর মধ্যে কর-জিডিপি অনুপাত ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং ডিসেম্বর ২০২৩–এর মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে একটি সূত্রভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য আইএমএফ বাংলাদেশকে নির্দেশনা দিয়েছিল।
এ ছাড়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম পর্যবেক্ষণে আইএমএফ দেশের চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এবং নমনীয় বিনিময় হার নীতি অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়।
সরকার ২০২৪ সালের জানুয়ারি নির্বাচন সামনে রেখে সেগুলো বাস্তবায়ন করা থেকে বিরত থাকলেও ঋণের পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার জন্য চলতি মাসে সুদহার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার পাশাপাশি নীতি সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
নমনীয় বৈদেশিক বিনিময় হার নীতি গ্রহণের অংশ হিসেবে ‘ক্রলিং পেগ’ বিনিময় হার ব্যবস্থার অধীনে দেশের ইতিহাসে ডলারের বিনিময় হার একবারে সর্বোচ্চ ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করেছে।
এ ছাড়া পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি সূত্রভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করেছে। সরকারের গৃহীত এই আর্থিক সংস্কারে দাতা সংস্থা আইএমএফ কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট।
চলতি মাসে দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণ শেষে আইএমএফ মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও সাংবাদিকদের তাঁদের এই সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বলেছেন, ব্যাংকিং খাতের আরও সংস্কার আনতে হবে এবং কর–রাজস্ব সংগ্রহের ওপর জোর দিতে হবে। এ ছাড়া তিনি অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভর্তুকি কমানোর ওপর আবারও জোর দিয়েছেন।
আইএমএফের এই সন্তুষ্টি দেশের জন্য কতটা স্বস্তি বয়ে এনেছে এবং যাদের জন্য এই ঋণ, সেই জনগণ তাদের এই সংস্কারে কতটুকু স্বস্তিতে আছে, সেটি মূল বিবেচ্য বিষয়।
আইএমএফের ঋণ নেওয়ার পর থেকে দেশের অর্থনীতিতে শুধু রেকর্ডের ছড়াছড়ি। রেকর্ড পরিমাণে জ্বালানির মূল্য বেড়েছে, রেকর্ড পরিমাণে ডলারের দাম বেড়েছে, রেকর্ড পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমেছে। আর সবকিছু ছাপিয়ে রেকর্ড পরিমাণে দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। আইএমএফের সন্তুষ্টি দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে পারেনি; বরং তাদের অস্বস্তি বেড়েই চলেছে।
ঋণ পাওয়ার প্রাক্কালে ২০২৩ সালের জানুয়ারি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নম্বর অগ্রাধিকার এবং তাদের লক্ষ্য সে বছর জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা। সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।
আইএমএফের নির্দেশিত পথে হেঁটে এবং তাদের ব্যবস্থাপত্র মেনেও তাদের প্রাক্কলিত মূল্যস্ফীতির হার অর্জিত হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। বাড়ার কারণ হিসেবে বলছে, বৈশ্বিক সংকোচনমূলক আর্থিক নীতি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য এবং খাদ্যের অতিরিক্ত মূল্য এবং অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা।
এসব কারণে মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত বাড়ছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার মজুত হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়ছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আরও জটিল হচ্ছে।
অনিশ্চিত এবং টালমাটাল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যখন নাজুক; আর্থিক খাত ভঙ্গুর, তখন বিনিময় হার নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি এবং সূত্রভিত্তিক জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চরম দুঃসাহসিক।
লাতিন আমেরিকার হাতে গোনা কয়েকটি দেশ বিনিময় হার নির্ধারণের এই কৌশল চালু করলেও তাদের অনেকেই পরে এই পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে।
একদিকে করোনা অতিমারি–পরবর্তী দুর্বল অর্থনীতি এবং যুদ্ধাহত বিশ্ববাজার, অন্যদিকে অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস এবং তীব্র খাদ্যসংকটের শঙ্কা। তখন আইএমএফের দেখানো অচেনা ও অনিশ্চিত পথে দেশের অর্থনীতির গন্তব্য কতটা সুখকর কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ, সেটি গভীর বিশ্লেষণের সুযোগ রাখে এবং ভাবনার উদ্রেক করে।
সরকারের আর্থিক সংস্কারের এই সাহসী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আইএমএফ বলেছে, বিনিময় হার সংস্কারের ফলে মূল্যস্ফীতির যে চাপ সৃষ্টি হবে, সুদহারের উদারীকরণ এবং সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ মূল্যস্ফীতির সে চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
মূল্যস্ফীতির চাপে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, তখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার মতো আর্থিক সংস্কারের ফলে নতুন চাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট। বিনিময় হার সংস্কারের ফলে ডলারের মূল্য ৬ শতাংশ বেড়েছে, যার প্রভাবে সরল গাণিতিক নিয়মে আমদানি করা এবং আমদানিনির্ভর পণ্যের মূল্যও সরাসরি ৬ শতাংশ বেড়ে যাবে এবং অনুসৃত সূত্র মোতাবেক জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্যও আনুপাতিক হারে বাড়বে, যা আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।
পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক ঋণের খরচ বেড়ে যাবে। ডলারের দাম বাড়ানোর এই বহুমুখী প্রভাব একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ওপরও চাপ বাড়াবে, অন্যদিকে এই সংস্কার চলতি মূল্যস্ফীতিকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দেবে।
পাশাপাশি যুদ্ধোত্তর পশ্চিমা দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দাভাব আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা চলছে, যা রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে, যার লক্ষণ ইতিমধ্যে স্পষ্ট হচ্ছে।
এ ছাড়া যেখানে দেশের আর্থিক খাত অস্থিতিশীল এবং ভঙ্গুর, সেখানে সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ায় এই খাত আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
সুদহার বেড়ে গেলে ব্যক্তি খাতে ঋণ খরচ এবং বিনিয়োগ ব্যয় বেড়ে যাবে। ফলে বাজার থেকে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে। এর ফলে দেশ থেকে পুঁজি পাচার বেড়ে যেতে পারে, অনেক শ্রমিক কাজ হারাতে পারেন।
এভাবে বহুমুখী সংকোচনমূলক আর্থিক নীতি শেষ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং টেকসই বৈদেশিক খাতের আশার গুড়ে বালি হয় কি না, সেই শঙ্কা প্রকট।
আর্থিক খাত সংস্কারের আইএমএফের যে পরামর্শ বা নির্দেশনা, তা অনেকাংশে আমাদের জন্য অতিপালনীয়, সে বিষয়ে কোনো দ্বিধা নেই। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নে যে সময়টিকে বেছে নেওয়া হয়েছে, সেটি কতটুকু যৌক্তিক; সে বিষয়ে বড় প্রশ্ন আছে। এর ফলে আমাদের সক্ষমতা এবং আর্থিক খাতের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
আইএমএফের শর্তে আমরা তরতর করে উতরে যাচ্ছি কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে আমরা কি উতরাতে পারছি? অতীত অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত।
বিগত সময়ে আইএমএফ কারও প্রকৃত বন্ধু কিংবা অভিভাবক হয়ে উঠতে পারেনি। আন্তর্জাতিক সাহায্য গ্রুপ অক্সফামের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যে দেশগুলো আইএমএফের ঋণ নিয়ে উচ্চ ঋণগ্রস্ত দেশে রূপান্তর ঘটেছে, সেসব দেশে ঋণ পরিশোধ করা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক খাতে বিনিয়োগ ব্যয় একসঙ্গে মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
শেষ কথা হলো, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি। কেউ পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে আর তার হাত ধরে তোলার চেষ্টা না করে তাঁকে সাঁতারের কৌশল শিখিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা, আর একটি সংকটাপন্ন অর্থনীতিকে সংস্কারের শর্তের জালে আটকে টেনে তোলার চেষ্টা—উভয় ক্ষেত্রেই পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।
এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে, সেটি একটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। তবে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি, কঠোর মিতব্যয়িতা, দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে অন্তত হালে কিছুটা পানি পেতে পারে।
ফরিদ খান অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ই–মেইল: [email protected] | করোনা–পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি আমদানির ব্যয় বেড়ে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে ব্যাপক টান পড়ে। এরপর বাংলাদেশকে অনন্যোপায় হয়েই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হতে হয় ঋণের আশায়। |