title
stringlengths
10
148
text
stringlengths
14
34.6k
summary
stringlengths
1
7.08k
বিপিএলে কে কেমন করলেন
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অন্যতম আলোচিত নাম ইমরুল কায়েস। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের এ ওপেনার ক্যারিয়ারসেরা বিপিএল মৌসুম শেষ করেছেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনেকেই এবার ভালো করেছেন। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ ব্যাটসম্যান। দলে যারা নিয়মিত বল করেন, তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সবচেয়ে সফল। তবে ব্যাটসম্যানদের তালিকাটা দীর্ঘ। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, তামিম ইকবালরা আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ওপরের দিকে। মুশফিকুর রহিম মুশফিক এবারই প্রথম বিপিএলের ফাইনাল খেলছেন। খুলনা টাইগার্সের হয়ে দাপুটে ব্যাটিং করেছেন পুরো আসরেই। দুটি সেঞ্চুরি অল্পের জন্য মিস করেছেন তিনি। তার গড় ৭৮.৩৩, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক বেশি। স্ট্রাইক রেটও বেশি, যেটি ১৫০ ছুঁই ছুঁই। ১৩ ইনিংসে ৪৭০ রান করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। পথে রয়েছে ৪টি ফিফটি। ইমরুল কায়েস জাতীয় দলে কখনই নিয়মিত নন ইমরুল। সেই তিনি এবার বিপিএলকে নিজের প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে নিয়েছেন। ১৩২ স্ট্রাইক রেটে ৪৯ গড়ে ৪৪২ রান তুলেছেন এ ওপেনার। ৪টি ফিফটি করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে ক্রিস গেইল, লেন্ডল সিমন্স, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ছাপিয়ে বাঁহাতি ব্যাটার হয়েছেন সেরা পারফর্মার। লিটন দাস জাতীয় দলে লিটন এখন নিয়মিত একাদশে জায়গা পান। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স বিচার করে তার প্রতি নির্বাচকদের যে প্রত্যাশা, সেটি পূরণ করতে পারেননি। তবে এবারের বিপিএলে তিনি অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী পারফর্মার। ১৪ ম্যাচ খেলে রান তুলেছেন ৪৩০। গড় ৩৩, স্ট্রাইক রেট ১৩৯.২৬। ৪৬টি চার ও ১৪টি ছক্কা মারা এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ৩টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন। বোলিংয়ে সেরাদের তালিকায় বেশিরভাগ সফল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান রানা, শহীদুল ইসলাম, এবাদত হোসেনরা এ তালিকায় আছেন। এবার যে বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে, সেটি হলো– স্পিন বোলারদের চেয়ে পেস বোলাররাই বেশি সফল। মোস্তাফিজুর রহমান এবারের বিপিএলে মোস্তাফিজুর রহমানের শুরুটা ভালো ছিল না। তবে ধীরে ধীরে নিজেকে শ্রেয়তর একটা জায়গায় নিয়ে এসেছেন তিনি। ১২ ম্যাচে ৩১২ রান দিয়ে ২০ উইকেট নিয়েছেন এ ফাস্ট বোলার। তার বোলিং গড় ১৫.৬০। ইকোনমি রেট ৭। রুবেল হোসেন রুবেল ও মোস্তাফিজ এ বিপিএলের ফাইনালের আগ পর্যন্ত যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (২০)। রুবেলের ইকোনমি রেট ৭.৩১। তিনি রান দিয়েছেন ৩৫৭। তার গড় ১৭.৮৫। রুবেল এবার নিয়মিত টপঅর্ডারের উইকেট নিয়েছেন। আগের চেয়ে বেশ কম খরুচে বোলিং করেছেন। মেহেদী হাসান রানা মেহেদী হাসান রানাকে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের আসরের বিস্ময়। ১০ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়েছেন এ পেস বোলার। বোলিং গড় ১৮.৮৯। একটি ম্যাচে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। চট্টগ্রামের কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত পথচলায় ইমরুলের পাশাপাশি এ পেস বোলারেরও অবদান ছিল। যদিও শেষ ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়েছেন রানা। যেখানে হেরে গিয়ে ফাইনালে উঠতে পারেনি তার দল। সৌম্য সরকার বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম পারফর্মার ছিলেন সৌম্য সরকার। ১২ ম্যাচে ৩৩১ রান করেছেন তিনি। পাশাপাশি ১২ উইকেট নিয়েছেন এ মিডিয়াম পেসার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইনজুরির কারণে তুলনামূলক কম ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৭ ম্যাচে রান করেছেন ২০১। কিন্তু তার পরিসংখ্যান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই। স্ট্রাইক রেট ১৭০, গড় ৪০। নাজমুল হোসেন শান্ত এবার চমক দেখিয়েছেন শান্ত। ২০১৯-২০ বিপিএলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান নেয়া ব্যাটসম্যান তিনি। ৫৭ বলে করেছেন অপরাজিত ১১৫ রান, যা কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের এবারের আসরে একমাত্র সেঞ্চুরি। কে হতে পারেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট? ২০১১-১২ মৌসুমে প্রথম শুরু হয় বিপিএল। এর আগে আয়োজিত হয় মোট ছয়টি আসর। এর মধ্যে তিনবারই টুর্নামেন্টসেরা ক্রিকেটার হন সাকিব আল হাসান। প্রতি আসরেই তিনি ব্যাট ও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। চলতি মৌসুমে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বিচারে সাকিবের অনুরুপ পারফর্ম করেছেন সৌম্য। কিন্তু তার দল শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে টেকেনি। সেদিক থেকে বিচার করলে মুশফিক, লিটনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ এ দুজনের দলই ফাইনাল খেলছে। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের সাবেক ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, বিপিএলের এ আসর জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটার এবং যারা জাতীয় দলে খেলেন না, তাদের জন্য একটা বড় সুযোগ ছিল। এবার আন্তর্জাতিক বড় নাম আগের আসরগুলোর তুলনায় কম ছিল। তাই এখানে নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আগের আসরগুলোতে যারা ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা ২০১২- সাকিব আল হাসান ২০১৩- সাকিব আল হাসান ২০১৬- আশার জাইদি ২০১৭- ক্রিস গেইল ২০১৭-১৮- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০১৮-১৯- সাকিব আল হাসান ফ্লপ কারা? সাব্বির রহমান বিপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা খারাপ করেছেন, তাদের একজন সাব্বির রহমান। জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে বেশ কিছুদিন ক্রিকেট খেলা এ ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের তকমা পেয়েছিলেন। তবে সেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১১ ম্যাচে মাত্র একটি ফিফটি করেছেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের এ ব্যাটার। ১৮ গড়ে রান তুলেছেন ২০৪। স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১২। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মোসাদ্দেক হোসেন জাতীয় দলের আরেকজন নিয়মিত ক্রিকেটার। ইনজুরির কারণে পুরো টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি তিনি। কিন্তু যেই ৮ ম্যাচ খেলেছেন, সেগুলোতে ব্যাট করেছেন ১০৬ স্ট্রাইক রেটে। রান তুলেছেন মাত্র ১৯০। তামিম ইকবাল তামিমের প্রতিও অভিযোগটা পুরনো। বিপিএলের আগের মৌসুমের নায়ক এবার ব্যাট করেছেন মাত্র ১০৯ স্ট্রাইক রেটে। যদিও নামের পাশে তিনটি ফিফটি এবং ৩৯৬ রান রয়েছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে যে ধরনের ব্যাটিং প্রয়োজন, সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এটি ঢাকা প্লাটুনের মোট রান রেটের ওপর প্রভাব ফেলেছে। মাশরাফি বিন মুর্তজা মাশরাফি যদিও আলোচনায় ছিলেন বিপিএলে। কিন্তু বোলিং দিয়ে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক ১৩ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৮টি, গড় ৪১। খুব ভালোও করতে পারেনি তার দল ঢাকা। শফিউল ইসলাম শফিউল সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় দলে ফিরেছেন। কিন্তু এবারের বিপিএলে সেরা বোলারদের তালিকায় তার নাম অনেক নিচে। ১৩ ম্যাচে ৪৩ গড়ে ৯ উইকেট নিয়েছেন এ ডানহাতি পেস বোলার। এ ছাড়া জাতীয় দলে খেলা নাইম হাসান, আরাফাত সানিরাও ছিলেন তালিকার তলানির দিকে। বিপিএল ২০১৯-২০ এর কিছু পরিসংখ্যান (ফাইনাল ম্যাচের আগ পর্যন্ত) সর্বোচ্চ ছক্কা: ইমরুল কায়েস ও রাইলি রুশো, ২২টি এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা: দাশুন শানাকা, ৯ ছক্কা, রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরেছেন: রাইলি রুশো, ১১টি উইকেটকিপার হিসেবে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল: নুরুল হাসান সোহান, ১৫টি সর্বোচ্চ ডাক: এনামুল হক বিজয়, ৩টি এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান দেয়া বোলার: নাসির হোসেন ৪ ওভারে ৬০ রান, ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে। তথ্যসূত্র: বিবিসি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অন্যতম আলোচিত নাম ইমরুল কায়েস। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের এ ওপেনার ক্যারিয়ারসেরা বিপিএল মৌসুম শেষ করেছেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনেকেই এবার ভালো করেছেন। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ ব্যাটসম্যান। দলে যারা নিয়মিত বল করেন, তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সবচেয়ে সফল। তবে ব্যাটসম্যানদের তালিকাটা দীর্ঘ। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, তামিম ইকবালরা আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ওপরের দিকে।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল আজ, খুলনা না রাজশাহী শিরোপা কার
আন্দ্রে রাসেল কথা বলেন খুবই আস্তে, কিন্তু ছক্কা মারার সময় গ্যালারি গর্জে ওঠে। মুশফিকুর রহিমের ছক্কা বেশি বড় নয়। আগেরদিন প্রায় হারা ম্যাচ জিতিয়ে রাজশাহীকে ফাইনালে তুলে দেয়া অধিনায়ক রাসেলকে দেখা গেল উচ্ছ্বাসহীন। ট্রফি দেখে উচ্ছ্বাসে ‘ওয়াও’ বলে উঠলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিক। ট্রফি উন্মোচন শেষেও উচ্ছ্বাসের রেশ তার কাটল না। গত ৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধন হয়েছিল। খেলা শুরু হয় ১১ ডিসেম্বর। ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়া বিসিবির ব্যবস্থাপনায় বিপিএলে মাঠের লড়াই হয়েছে দুর্দান্ত। লন্ডন থেকে তৈরি করে আনা বিপিএলের বিশেষ ট্রফি জিততে ফাইনালে আজ মুখোমুখি খুলনা ও রাজশাহী। ৩৮ দিনের এই টি ২০ টুর্নামেন্টের শেষদিনে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচ জিটিভি ও মাছরাঙা টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে। অবাক করা বিষয় হল, এবার বিপিএলে কোনো প্রাইজমানি নেই! শুধু ট্রফি দিয়েই শেষ হবে টুর্নামেন্ট। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট পাবেন মাত্র এক হাজার ডলার। সঙ্গে একটি মোটরসাইকেল। রাজশাহী এর আগে একবার ফাইনালে উঠলেও এই প্রথম ট্রফির লড়াইয়ে নামবে খুলনা। দু’দলের কেউই এখনও শিরোপার স্বাদ পায়নি। এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে বিপিএল। অন্য আসরের তুলনায় এবার প্রচুর রান হয়েছে। বিতর্ক হয়েছে তুলনামূলক কম। একই সঙ্গে পেসাররা দাপট দেখিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লা ভারি। বিপিএলে প্রতিবারই মাঝপথে নেতৃত্ব ছাড়েন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও তার ট্রফি জয়ের উদাহরণ নেই। সেই মুশফিকের নেতৃত্বেই এবার দারুণ খেলেছে খুলনা। দলের দুই দক্ষিণ আফ্রিকান রাইলি রুশো ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক মুশফিকের নেতৃত্বগুণে মুগ্ধ। খুলনা শুরু করেছিল টানা তিন জয়ে। এরপর ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে দু’শর বেশি রান তাড়া করে জিতে হয় গ্রুপপর্বের এক নম্বর দল। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজশাহীকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেন মুশফিকরা। টপঅর্ডারে খুলনার মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়মিত ভালো শুরু করেছেন। সবশেষ ম্যাচ দুটি জিতিয়েছেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এবার বিপিএলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। মিডলঅর্ডারে রুশো ও মুশফিক দলের মূল কাণ্ডারি। বোলিং লাইনআপ তাদের আরও বেশি শক্তিশালী। কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে বিপিএলে নতুন রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির। রয়েছেন শফিউল, শহিদুল, ফ্রাইলিঙ্করা। খুলনার কোচ জেমস ফস্টার বলেন, ‘ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী। রাজশাহী খুবই ভালো দল। প্রতিপক্ষের কাউকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা নেই। সবাইকে নিয়েই পরিকল্পনা রয়েছে।’ গ্রুপপর্বে দু’দলের প্রথম মুখোমুখিতে ১৯০ রান তাড়া করে জেতে খুলনা। পরের ম্যাচে সাত উইকেটে জয় পায় রাজশাহী। প্রথম কোয়ালিফায়ারে আবার জেতে খুলনা। রাজশাহী অলরাউন্ডারে ভরা দল। আট নম্বর পর্যন্ত তাদের ব্যাটসম্যান। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে লিটন দাস, মাঝে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। প্রতি ম্যাচেই বোলিং করেন আট-নয়জন! দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চট্টগ্রামের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। ফাইনালে ফেভারিট নিয়ে আন্দ্রে রাসেল বলেন, ‘কঠিন প্রশ্ন। অবশ্যই আমরা ট্রফি জিততে চাইব। দল হিসেবে খেলে ফাইনালে উঠেছি। সবাই দেখেছে আমরা কি করতে পারি। আগামীকালও (আজ) দল হিসেবে খেলতে চাই।’
আন্দ্রে রাসেল কথা বলেন খুবই আস্তে, কিন্তু ছক্কা মারার সময় গ্যালারি গর্জে ওঠে। মুশফিকুর রহিমের ছক্কা বেশি বড় নয়।
অমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলার আগে কী খেয়েছিলেন রাসেল?
আন্দ্রে রাসেল ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেলে কী হয়। সেটি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তার একার তাণ্ডবেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়্যালসের কাছে হেরে গেছে তারা। এতে টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো খেলেও বিদায় নিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে রাজশাহীর দরকার ছিল ৩১ রান। হাতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। এ পরিস্থিতিতে চার-ছক্কার বৃষ্টিতে মাত্র ৮ বলে এ রান তুলে ফেলেন রাসেল। তাতে থেমে যায় চট্টগ্রামের অগ্রযাত্রার দৌড়। স্বপ্নভঙ্গ হয় বিপিএলে ফাইনাল খেলার। আর শিরোপা নির্ধারণীতে খেলার টিকিট পায় উত্তরবঙ্গের দলটি। চট্টগ্রামের দেয়া ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে বারবার হোঁচট খায় রাজশাহী। ১৭.১ ওভারে ১২৮ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তাতে হারের শঙ্কা জেঁকে বসে বরেন্দ্রভূমির দলটির কাঁধে। আর জিতেই যাচ্ছিল চট্টগ্রাম। এ পরিস্থিতিতে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে ২২ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রাসেল। ৭ ছক্কার বিপরীতে ২ চারে বিস্ফোরক ইনিংসটি সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত তাতে ভর করে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে ফাইনালি লড়াইয়ে নাম লেখায় ধুঁকতে থাকা রাজশাহী। একরকম একা হাতে বীরোচিত ইনিংস খেলে চট্টগ্রামের কপালে পরাজয়ের তিলক এঁকে দিয়েছেন রাসেল। আর অপরাজেয় ইনিংস খেলে রাজশাহীকে ফাইনালে তুলেছেন তিনি। তো তার এমন অতিমানবীয় ইনিংস খেলার রহস্য কী? অবশ্য এর আগেও টি-টোয়েন্টিতে অমন ব্যাটিংয়ে বিশেষ সুখ্যাতি আছে ক্যারিবীয় হার্ডহিটারের। বিপিএলের সপ্তম আসে আরেকবার সেটি প্রমাণ করতে বেছে নেন চট্টগ্রামকে। বুধবার মিরপুরে ম্যাচ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসে শিস বাজাতে শুরু করেন রাসেল। কখনও চোখ টিপ মারেন। স্বভাবসুলভ আমুদে ক্যারিবীয় হিসেবেই নিজেকে উপস্থাপন করেন তিনি। স্বভাবতই তাকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন এক সাংবাদিক– ব্যাটিংয়ে নামার আগে কী খেয়েছিলেন ‘দ্রি রাস’? জবাবে রাসেল বলেন, বেশি কিছু নয়, কিছু ফল খেয়েছিলাম। সঙ্গে ডাবের পানি পান করেছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটবিশ্বের যে কোনো ব্যাটসম্যানের কাছেই ওমন ইনিংস খেলা দুরূহ। অথচ আরামসে তা করে দেখিয়েছেন রাসেল। কিন্তু সেটি যে সহজ ছিল না তা অবলীলায় স্বীকার করেছেন তিনি।   রাসেল বলেন, কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। একবার মিস টাইমিং হয়ে গেলেই সর্বনাশ ঘটতে পারত। আউট হয়ে যেতে পারতাম আমি। শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষ দলের ফিল্ডিং পজিশন দেখেছি। বারবার মাঝ ব্যাটে বল লাগতে চেয়েছি, যেন তা সীমার ওপারে গিয়ে পড়ে। নবম উইকেটে আবু জায়েদের সঙ্গে ম্যাচ জেতানো ৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রাসেল। এর মধ্যে মাত্র ৫ রান করেন জায়েদ। শেষ অবধি টিকে থাকায় এবং দুরন্ত সঙ্গ দেয়ায় তাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান ক্যারিবীয় হার্ডহিটার। তিনি বলেন, অপর প্রান্তে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। এক পাশে থেকে শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছি আমি। তবে অন্য পাশ নিয়ে ভয় ছিল। জায়েদকে ধন্যবাদ। সে দারুণ সঙ্গ দিয়েছে।
আন্দ্রে রাসেল ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেলে কী হয়। সেটি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তার একার তাণ্ডবেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়্যালসের কাছে হেরে গেছে তারা। এতে টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো খেলেও বিদায় নিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি।
ওভারে ১৬ রানের চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ রাসেলের
স্নায়ুচাপ সামলে বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে অভ্যস্ত আন্দ্রে রাসেল। এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অসংখ্যবার এ নজীর স্থাপন করেছেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) এসেও একই উদাহরণ সৃষ্টি করলেন এই হার্ডহিটার। বুধবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে একাই রাজশাহী রয়্যালসকে জিতিয়েছেন রাসেল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই পিঞ্চ হিটার। চট্টগ্রামের দেয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে রাজশাহী। এ পরিস্থিতিতে এক প্রান্ত আগলে রেখে ২২ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রাসেল। ৭ ছক্কা ও ২ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত তাতে ভর করে ২ উইকেটের শ্বাসরূদ্ধকর জয় পায় ধুঁকতে থাকা রাজশাহী। পাহাড়সম চাপ সামলে ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলার পর স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত রাসেল। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়তে সবসময় ভালোবাসেন তিনি। বীরোচিত ইনিংস খেলার চ্যালেঞ্জ নিতে সর্বদাই পছন্দ করেন এ তারকা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান রাসেল। রাসেল বলেন, এর আগেও বলেছি, আমি এ ধরনের পরিস্থিতিতে খেলতে পছন্দ করি। ১ ওভারে ১২, ১৩ কিংবা ১৪ রান দরকার হলে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি ব্যাট চালাতে আরও পছন্দ করি ওভারে ১৫ কিংবা ১৬ রান দরকার হলে। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে আমি সবসময় আগ্রহী। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলে জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন-ক্রিজে নামার পর থেকেই এ বিশ্বাস ছিল রাসেলের। মূলত সেই কারণেই বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হন তিনি। রাজশাহীর অধিনায়ক বলেন, জানতাম আমি যদি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকি, তা হলে জয় নিয়ে ফিরতে পারব। আমি কখনো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামি না। পরিস্থিতি বিবেচনায় খেলি। কঠিন অবস্থায় নিজের চিন্তাধারা উন্মুক্ত রাখি।
স্নায়ুচাপ সামলে বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে অভ্যস্ত আন্দ্রে রাসেল। এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অসংখ্যবার এ নজীর স্থাপন করেছেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) এসেও একই উদাহরণ সৃষ্টি করলেন এই হার্ডহিটার।
বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষাবৃত্তির চেক পেলেন ২৬ জন
ঢাকা জেলায় ২৬ জন ক্রীড়াসেবীকে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে তারা এ বৃত্তি পেয়েছেন। সোমবার ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান তাদের এ চেক বিতরণ করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মমতাজ বেগম, ঢাকা জেলার ক্রীড়া অফিসার মো. রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, ঢাকা জেলায় মোট ২৬ জন ক্রীড়াসেবীর মধ্যে ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার চেক শিক্ষার্থী খেলোয়াড়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা জেলায় ২৬ জন ক্রীড়াসেবীকে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে তারা এ বৃত্তি পেয়েছেন।
চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ ইউসুফ আর নেই
চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠক, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ (৬০) আর নেই। শনিবার সকালে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল­াহি ... রাজিউন)। তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন।   ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিতমুখ মোহাম্মদ ইউসুফ চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ চুকবল অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও বর্তমান কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এসএম শহীদুল ইসলামও শোক প্রকাশ করেন।
চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠক, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ (৬০) আর নেই। শনিবার সকালে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল­াহি ... রাজিউন)। তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন।
দাবার কোটে এ আরেক মেসি
কতইবা বয়স হবে ওর। বড় জোর নয় বছর! এই বয়সেই দাবার মেসি হয়ে উঠেছে সে। ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সি দাবাড়ু হিসাবে ফস্তিনো ওরো পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাস্টারের নর্ম। আর্জেন্টিনার এই বিস্ময়বালক ইতোমধ্যে সেদেশের মিডিয়ার মধ্যমণি হয়ে উঠেছে। ‘মেসি অব চেস’ কিংবা ‘দাবার মেসি’ খ্যাত ফস্তিনো গত বছর জুনে ২৩০০ র‌্যাংকিং অতিক্রম করে সংবাদের শিরোনাম হয়। সম্প্রতি এক অনলাইন টুর্নামেন্টে নিজের প্রিয় দাবাড়ু বিশ্বের এক নম্বর কার্লসেনকে হারিয়েছে ফস্তিনো। বার্ষিক এই অনলাইন টুর্নামেন্টের নাম ‘দ্য বুলেট ব্রল’। এমন নাম বলেই চাল দিতে হয় দ্রুতগতিতে। কার্লসেনের ভুলের সুযোগে কিস্তিমাত করে ফস্তিনো।
কতইবা বয়স হবে ওর। বড় জোর নয় বছর! এই বয়সেই দাবার মেসি হয়ে উঠেছে সে। ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সি দাবাড়ুহিসাবে ফস্তিনো ওরো পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাস্টারের নর্ম।
সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলার বাবা আর নেই
সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলার বাবা আলী আহমেদ গাজী (৮২) আজ দুপুরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। সাবেক সাঁতারু নিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘শিলার বাবা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মরদেহ যশোরের নওয়াপাড়ার অভয়নগনরে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।’ মাহফুজা খাতুন শিলা ২০১৬ সালে ভারতের গুয়াহাটি এসএ গেমসে সাঁতারে দুটি স্বর্ণ জিতেছিলেন। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম সাফে স্বর্ণজয়ী নারী সাঁতারু।
সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলার বাবা আলী আহমেদ গাজী (৮২) আজ দুপুরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)।
হকিতে হাতাহাতি, আগামীকাল জরুরি সভা
গতকাল রোববার ঘরোয়া হকি লিগে উষা ও পুলিশের ম্যাচে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ জন্য লিগ কমিটি আগামীকাল মঙ্গলবার জরুরি সভা ডেকেছে। লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের লতিফ মুন্না বলেন, ‘আগামীকাল দুপুরে হকি ফেডারেশনের লিগ কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। উষা ও পুলিশ ম্যাচের ঘটনাই মূলত আলোচ্য বিষয়। এরপরও কমিটির সদস্যরা চাইলে অন্য বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।’ হকি লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি। হকি ফেডারেশন অনেক দিন থেকেই মতিঝিল জোনের ডিসিকে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করে আসছে। গ্রিন ডেল্টা ইন্সুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে আজ পঞ্চম জয় তুলে নেয় শিরোপা প্রত্যাশী আবাহনী লিমিটেড। মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ভিক্টোরিয়া এসসিকে ১৬-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে আকাশি-নীলরা।  দিনের প্রথম খেলায় আজাদ স্পোর্টিংকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারায় অ্যাজাক্স।
গতকাল রোববার ঘরোয়া হকি লিগে উষা ও পুলিশের ম্যাচে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
নারী হোস্টেলের সামনে উঁকিঝুঁকি, বিপাকে তারকা
বার্মিংহ্যাম অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন অচিন্ত্য শিউলি। অথচ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাতিয়ালায় নারীদের হোস্টেলের সামনে উঁকিঝুঁকি মারায় আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক ক্যাম্প থেকে বহিষ্কৃত হলেন এই তারকা ভারত্তোলক। বৃহস্পতিবার রাতে শিউলির অপকর্মের কারণে ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চত করেন পাতিয়ালা ক্যাম্পের কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা বিনীত কুমার। তিনি বলেন, ভিডিও-প্রমাণ থাকায় ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার অচিন্ত্যকে বহিষ্কার করায় তাকে আর প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যাবে না। সংবাদ সংস্থাকে জাতীয় ভারোত্তোলন সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয় কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ওকে সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাম্প ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওর ভিডিও এনআইএস পাতিয়ালার কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা বিনীত কুমার এবং নতুন দিল্লির সাই হেডকোয়ার্টার্সে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয় হয়েছে।’
বার্মিংহ্যাম অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন অচিন্ত্য শিউলি। অথচ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাতিয়ালায় নারীদের হোস্টেলের সামনে উঁকিঝুঁকি মারায় আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক ক্যাম্প থেকে বহিষ্কৃত হলেন এই তারকা ভারত্তোলক।
সোহানুরের ডাবল হ্যাটট্রিক, উড়ে গেল ভিক্টোরিয়া
প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লিগে নিজ নিজ ম্যাচে জিতেছে আবাহনী ও মেরিনার্স ইয়াং। শনিবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনী ৩-০ গোলে হারিয়েছে সাধারণ বীমাকে।  আশরাফুল ইসলাম দুটি ও পুষ্কর খিসা মিমো একটি গোল করেন আবাহনীর হয়ে।  দিনের প্রথম ম্যাচে সোহানুর রহমানের ডাবল হ্যাটট্রিকের সুবাদে মেরিনার্স ১১-২ গোলে হারিয়েছে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে। ১১ গোলের মধ্যে দুটি হ্যাটট্রিকসহ সাত গোল করেন সোহান। চার ম্যাচ শেষে ১৭ গোল এই খেলোয়াড়ের ঝুলিতে। গত মৌসুমে ৩৩ গোল করে লিগের শীর্ষ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনি। মেরিনার্সের বাকি চার গোল বেলাল হোসেন, ফজলে হোসেন, আবেদ উদ্দিন ও সাদাফ সালেকীনের।
প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লিগে নিজ নিজ ম্যাচে জিতেছে আবাহনী ও মেরিনার্স ইয়াং। শনিবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনী ৩-০ গোলে হারিয়েছে সাধারণ বীমাকে।
রোমানের অবসরের চিঠি পড়ে শোনানো হয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রীকে
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এসেই বেশ কয়েকটি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছেন। তার মধ্যে আর্চারিও আছে।  মঙ্গলবার এই ফেডারেশনের সঙ্গে আবারও বসেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। আলোচনার এক ফাঁকে রোমান সানার অবসরের চিঠিও পড়ে শোনানো হয়েছে তাকে।  আকস্মিক জাতীয় দলে রোমানের না খেলার সিদ্ধান্ত সারা দেশেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ব্যাপারে ফেডারেশন সভাপতি লে.জেনারেল (অব:) মোহাম্মাদ মইনুল ইসলাম বলেছেন, ‘রোমানের চিঠিটি আমি সঙ্গে নিয়েছিলাম। মন্ত্রীকে চিঠিটি পড়ে শুনিয়েছি।  চিঠি ও সামগ্রিক বিষয় শোনার পর মন্ত্রী এটাকে আবেগী সিদ্ধান্ত বলেই মন্তব্য করেছেন।  এছাড়া শর্ত দিয়ে কোনও সময় জাতীয় দলে খেলা যায় না বলে উল্লেখ করেছেন। এমন খেলোয়াড় দলে নিতে তিনি নিরুৎসাহিত করেছেন। চিঠিতে রোমান যে সব কারণ দেখিয়েছেন তাতে তো সে নিজের চোট ও পারফরম্যান্সকে সামনে এনেছেন। মন্ত্রী তাও শুনে এটাকে ওরই সমস্যা বলেছেন। তবে মন্ত্রী এই বিষয়ে সরাসরি কোনও সিদ্ধান্ত কিংবা আর কিছু বলেননি।’ আর্চারি ফেডারেশনের সভাপতি আরও বলেছেন, ‘রোমানকে এর আগে স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। যা এখন ওর স্ত্রী দিয়া সিদ্দিকী যোগ্যতা দেখিয়ে পাচ্ছে। রোমান শেখ কামাল পদকের পাশাপাশি নানান রকম সহযোগিতাও পেয়েছে। একদম কিছু পায়নি তা ঠিক নয়। তবে আমরা খেলোয়াড়দের নিয়ে আরও পরিকল্পনা করছি তা শিগগিরই  মন্ত্রীর কাছে জমা দেবো। সেখানে সুযোগ সুবিধা সহ বিস্তারিত থাকবে।’ আর্চারি ফেডারেশন শিগগিরই রোমান সানার অবসরের চিঠি নিয়ে সভায় বসতে যাচ্ছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীবউদ্দিন চপল দেশে ফিরলেই হবে নির্বাহী কমিটির সভা। তবে এখনো পর্যন্ত রোমানের সঙ্গে ফেডারেশন থেকে এই বিষয়ে কেউ কথা বলেনি।  রোমান বলেছেন, ‘চিঠির পর কেউ যোগাযোগ করেনি। আমি আনসার একাডেমিতেই আছি। চিঠিতে যা লিখেছি সে জায়গাতেই আছি আমি।’
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এসেই বেশ কয়েকটি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছেন। তার মধ্যে আর্চারিও আছে।
না পাওয়ার আক্ষেপে আরচারিকে রোমান সানার ‘গুডবাই’
বিশ্বকাপ আরচারিতে ব্রোঞ্জ জিতে সরাসরি অলিম্পিকে খেলেছেন। মুঠো মুঠো পদক জিতেছেন দেশের জন্য। দেশসেরা সেই তীরন্দাজ রোমান সানা হঠাৎ জাতীয় দলকে গুডবাই জানিয়ে দিলেন।  সম্প্রতি জাতীয় দল ছাড়ার চিঠি ইতোমধ্যে আরচারি ফেডারেশনে দিয়েছেন লাল-সবুজ আরচারির এই পোস্টারবয়।  হতাশাভরা কণ্ঠে রোমান সানা বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে আর খেলব না। অব্যাহতি চেয়ে চিঠি লিখেছি। আমি নিজেও জানি আরও ১০ বছর হয়তো খেলতে পারতাম। কিন্তু কিসের আশায় খেলব? ১৪ বছর জাতীয় দলে খেলে কী পেয়েছি? বাংলাদেশের ইতিহাসে আরচারিতে সর্বোচ্চ সাফল্য এনে দিলাম। কিন্তু কোথা থেকেও কিছু পেলাম না। এটা খুব দুঃখজনক।’  রোমানের সঙ্গে ফেডারেশনের দূরত্ব চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই অভিমান থেকেই কি অবসরের সিদ্ধান্ত? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখানে মান-অভিমানের কিছু নেই। সে ব্যক্তিগত কারণ উলে­খ করেছে।’  তবে ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম মিডিয়াকে বলেন, ‘রোমান জাতীয় দলের হয়ে আর খেলবেন না। এমন চিঠি আমাদের দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই তা পেয়েছি। তবে আমরা এখন তা বিবেচনা করব। সে কেনও খেলতে চায় না, রাগ বা ক্ষোভ আছে কিনা; হুট করে কোনো কিছু করা ঠিক হবে না। যদি সবাই মিলে ওকে বোঝানো যায় তাহলে হয়তো ফিরতে পারে।’  জানা গেছে, আপাতত টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে রোমান চলে গেছেন গাজীপুর আনসার একাডেমিতে।  কিছুদিন থেকেই রোমানের পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না। উপরন্তু যোগ হয়েছে চোট। গত বছর প্যারিস অলিম্পিকের কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টেও থাইল্যান্ডে ভালো কিছু করতে পারেননি। এরপর বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মাধ্যমে প্যারিস অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য আরচারি থেকে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায়ও নেই রোমানের নাম।  এর আগে টঙ্গীতে সতীর্থ আরচারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে ২০২২ সালে রোমানকে দুই বছরের জন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব রকমের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছিল ফেডারেশন।  নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পরে কমিয়ে আনে ফেডারেশন কর্মকর্তারা। যদিও সেই ধাক্কা সামলে আবারও তির-ধনুকে নজর দিতে চেয়েও আগের ফর্মে ফিরতে পারছেন না। রোমানকে দিয়েই লাল-সবুজের বাংলাদেশকে চিনেছে আরচারি বিশ্ব। বৈশ্বিক আরচারিতে বাংলাদেশের একমাত্র পদক এখনো রোমানের দখলে। এছাড়া রোমান খেলেছেন ঢাকায় আন্তর্জাতিক সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে।  খেলেছেন জার্মানি, চীন, সুইজারল্যান্ডে বিশ্বকাপ, ব্যাংককে এশিয়া কাপ ও এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ, নেদারল্যান্ডসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ ও বাংলাদেশে এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমস, ২০১৯ কাঠমান্ডু-পোখারা এসএ গেমসেও অংশ নেন রোমান।
বিশ্বকাপ আরচারিতে ব্রোঞ্জ জিতে সরাসরি অলিম্পিকে খেলেছেন। মুঠো মুঠো পদক জিতেছেন দেশের জন্য। দেশসেরা সেই তীরন্দাজ রোমান সানা হঠাৎ জাতীয় দলকে গুডবাই জানিয়ে দিলেন।
হঠাৎ অবসরের ঘোষণা রোমান সানার
বাংলাদেশ আরচ্যারির পোস্টার বয় রোমান সানা আকস্মিকভাবে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ফেডারেশনের কাছে একটি চিঠি দিয়ে তার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।  বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল প্যারা আরচ্যারির কাজে দেশের বাইরে রয়েছে। দুবাই থেকে তিনি জানান, রোমান ব্যক্তিগত কারণে জাতীয় দলের হয়ে আর খেলতে চায় না। আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে। রোমানের সঙ্গে ফেডারেশনের একটু দূরত্ব চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সেই অভিমানের সুরেই কি অবসরের সিদ্ধান্ত? এমন প্রশ্নের জবাবে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে মান অভিমানের কিছু নেই। সে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছে। রোমান সানার পারফরম্যান্স কিছু দিন যাবত ভালো যায়নি। ইরাকে এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে দলে ছিলেন না। সম্প্রতি র্যাংকিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেননি। টঙ্গীর জাতীয় দলের আরচ্যারি ক্যাম্প থেকেও চলে গেছেন। এই বিষয়ে আরচ্যারি ফেডারেশনের ট্রেনিং কমিটির কর্মকর্তা ফারুক ঢালী বলেন, সে চিঠি দিয়েছে এবং র্যাংকিংয়ে অংশগ্রহণ করেনি৷ তার চিঠি গ্রহণ হবে কিনা সেটা নির্বাহী কমিটির সভার পর বলা যাবে।
বাংলাদেশ আরচ্যারির পোস্টার বয় রোমান সানা আকস্মিকভাবে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ফেডারেশনের কাছে একটি চিঠি দিয়ে তার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।
আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মেরিনার্স
ক্লাব কাপ হকিতে শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখল ঢাকা মেরিনার্স। শনিবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ২-০ গোলে আাবাহনিকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ক্লাব কাপের শিরোপা জেতে। ২০২১ সালে আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে মেরিনার্স প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। শনিবার বিকাল পাঁচটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও টার্ফে গড়ায় ১৫ মিনিট পর। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের পাঁচ মিনিটে মেরিনার্স এগিয়ে যায়। বা প্রান্ত থেকে আক্রমণে বক্সে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল করেন ভারতীয় খেলোয়াড় দীপক (১-০)।  মিনিট সাতেক পর পেনাল্টি কর্নার নিয়ে বিরোধে খেলা ১৫ মিনিট বন্ধ থাকে। আম্পায়ার আবাহনীর পক্ষে পেনাল্টি কর্নারের সিদ্ধান্ত দেন। মেরিনার্স আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ফিরে যায়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও লিগ কমিটির সম্পাদক মাঠে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।  টিভি আম্পায়ার রিভিউ দেখে পেনাল্টি কর্নার নিশ্চিত করেন। এরপরও মেরিনার্স প্রতিবাদ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর মেরিনার্স পেনাল্টি কর্নার মেনে নিয়ে খেলতে নামে। পেনাল্টি কর্নার পেয়ে অবশ্য আবাহনী কিছু করতে পারেনি। তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষ মিনিটে মেরিনার্স পেনাল্টি কর্নার পায়। কর্নার থেকে পেনাল্টি স্ট্রোক আদায় করে মেরিনার্স। অধিনায়ক ফজলে হোসেন রাব্বি গোল করেন (২-০)। আবাহনী গোল শোধ দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জিতে শিরোপা উল্লাস করে মেরিনার্স।
ক্লাব কাপ হকিতে শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখল ঢাকা মেরিনার্স। শনিবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ২-০ গোলে আাবাহনিকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ক্লাব কাপের শিরোপা জেতে। ২০২১ সালে আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে মেরিনার্স প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
সেমিফাইনালে থামলেন হাকিম
এশিয়া কাপ স্টেজ-১ র‌্যাংকিং আরচারির রিকার্ভ একক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের আরচার হাকিম আহমেদ।  ইরাকের বাগদাদে শুক্রবার প্রি-কোয়ার্টারে উজবেকিস্তানের আবদুল খামিদভ শখজাখনকে ৬-৪ সেটে হারিয়ে কোয়ার্টারে এবং ভারতের যাধব প্রবীন রমেশকে ৬-৪ সেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠেন হাকিম। কিন্তু শেষ চারে ভারতের তরুণদ্বীপ রাইয়ের কাছে ৬-২ সেটে হেরে যান। একক এই ইভেন্টে এখন ব্রোঞ্জ পদকের জন্য খেলবেন তিনি।  এছাড়া প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আবদুর রহমান আরিফ ০-৬ সেটে উজবেকিস্তানের চেন ইয়াও ইউর কাছে ও সাগর ইসলাম ৪-৬ সেটে শ্রীলংকার ডি সিলভা সজীবের কাছে হেরে বিদায় নেন।
এশিয়া কাপ স্টেজ-১ র‌্যাংকিং আরচারির রিকার্ভ একক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের আরচার হাকিম আহমেদ।
৮ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে কৌশিকের বিশ্ব রেকর্ড
বয়স মাত্র আট বছর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত অশ্বথ কৌশিক এই বয়সেই হারিয়ে দিল পোল্যান্ডের এক গ্র্যান্ডমাস্টারকে। অশ্বথ বিশ্বের কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসাবে একজন গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়েছে। সিঙ্গাপুরের হয়ে দাবা খেলে সে। সুইজারল্যান্ডে বার্গডর্ফার স্ট্যাডথাউস ওপেন চলছে। সেখানেই অশ্বথ হারায় পোল্যান্ডের জাসেক স্টোপা। এর আগে সার্বিয়ার লিওনিদ ইভানোভিচ এই রেকর্ড গড়েছিল। অশ্বথ তার চেয়ে পাঁচ মাসের ছোট। তাই কোনো গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারানো বিশ্বের কনিষ্ঠতম দাবাড়ু এখন অশ্বথ। মাত্র চার বছর বয়সে দাবায় তার হাতেখড়ি। ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-৮ র‌্যাপিড বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় সে। ইভানোভিচের বিরুদ্ধে অশ্বথ এক সময় চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। তার বাবা কোশিক শ্রীরাম বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছি। গর্ব হচ্ছে। আমাদের পরিবারের কেউই সেভাবে খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত নয়। সেখানে অশ্বথ যা করছে, তাতে আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি।’ খুশি অশ্বথও। সে বলে, ‘এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়েছি। দারুণ লাগছে। ক্লাসিক্যাল দাবায় হারিয়েছি। তাই আরও বেশি ভাল লাগছে। আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত।’
বয়স মাত্র আট বছর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত অশ্বথ কৌশিক এই বয়সেই হারিয়ে দিল পোল্যান্ডের এক গ্র্যান্ডমাস্টারকে। অশ্বথ বিশ্বের কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসাবে একজন গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়েছে। সিঙ্গাপুরের হয়ে দাবা খেলে সে।
বিসিবির নতুন দায়িত্বে হাবিবুল বাশার
বিসিবির নতুর দায়িত্ব পেলেন সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। মঙ্গলবার এক বিবৃতির মাধ্যমে হাবিবুল বাশার সুমনের নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে জানায় বিসিবি। বিবৃতি অনুযায়ী, এখন থেকে উইমেন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু আর হাবিবুল বাশারের নির্বাচক অধ্যায়ের ইতি ঘোষণা করেন। তখনই বিসিবি প্রধান জানিয়ে দেন, নির্বাচক পদে না থাকলেও নান্নু ও সুমন বিসিবিতেই থাকবেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ দায়িত্ব পেলেন হাবিবুল বাশার। দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে অভিনন্দন জানান, বিসিবি পরিচালক ও উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি ও বাংলাদেশ নারী দলের ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাশারের পাশাপাশি সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকেও বড় কোনো পদে দেখা যেতে পারে। জানা গেছে, টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান হিসেবে দেখা যেতে পারে তাকে। টুর্নামেন্ট কমিটির মূলত বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই দুই সাবেক তারকার অবদানের পাশাপাশি তারা যেন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আসলে তাদের বোর্ডে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
বিসিবির নতুর দায়িত্ব পেলেন সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। মঙ্গলবার এক বিবৃতির মাধ্যমে হাবিবুল বাশার সুমনের নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে জানায় বিসিবি। বিবৃতি অনুযায়ী, এখন থেকে উইমেন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
দিনের বেশিরভাগ সময়ই তাদের কাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। কাজের চাপে অবসরের ফুরসতও যেন মেলে না অনেকের। সেই ব্যস্ততা থেকে একটু ছুটি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা মাতলেন কাবাডি খেলায়। রোববার বিকেএসপি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বসেছে ‘চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্ট’ নামে এ আসর। পুলিশের এ আয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। রোববার দুপুরে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, ‘কাবাডি গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হলেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশের এ জাতীয় খেলাটি। তাই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য কাবাডিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। দেশে অন্য খেলাগুলোর আয়োজন নিয়মিত হয়ে আসছে; কিন্তু কাবাডির আয়োজন খুবই নগন্য। তাই বাংলাদেশ পুলিশ এ আয়োজন করেছে। এটি আমাদের জাতীয় খেলা। আমরা চাই এ খেলার চর্চা আরও বাড়ুক। পাশাপাশি ঐতিহ্য ফেরাতে কাবাডিতে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা। এ আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করছে বিকেএসপি। আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে কেএসআরএম। এ স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।' গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, ‘জেলা পুলিশের সঙ্গে আমাদের হৃদ্যতা বহুদিনের। জেলা পুলিশ সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকে, পাশে থাকে। আমরাও সুযোগ খুঁজি কিভাবে তাদের সঙ্গে থাকতে পারি। কাবাডি টুর্নামেন্টের মতো দুর্দান্ত একটা আয়োজনে থাকতে পেরে আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।’ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদসহ জেলা পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।  কেএসআরএমের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত কাবাডি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে ১২টি দল। ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এ টুর্নামেন্টে চার গ্রুপে এসব দল অংশ নিচ্ছে।
দিনের বেশিরভাগ সময়ই তাদের কাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। কাজের চাপে অবসরের ফুরসতও যেন মেলে না অনেকের। সেই ব্যস্ততা থেকে একটু ছুটি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা মাতলেন কাবাডি খেলায়। রোববার বিকেএসপি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বসেছে ‘চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্ট’ নামে এ আসর। পুলিশের এ আয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।
বক্সার সুরকৃষ্ণের অষ্টম শিরোপা
ক্যারিয়ারের তুঙ্গে অবস্থান করছেন দেশসেরা পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা। অ্যামেচার থেকে পেশাদার রিংয়ে খেলেছেন আটটি ম্যাচ। জিতেছেন সবকটিতেই।  শনিবার রাতে বনানীর কামাল আতাতুর্ক পার্কে ভারতীয় বক্সার সন্দীপ কুমারের বিপক্ষে ‘পাথ টু গ্লোরি-হাসল ইন ঢাকা স্কয়ারের’ দারুণ এক ইভেন্ট জিতে নিয়েছেন তিনি। আট রাউন্ডের লাইটওয়েট ক্যাটাগরিতে সুর হারিয়েছেন ভারতের শক্তিশালী বক্সারকে।  লড়াই শেষ হতেই জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে নেন বাংলাদেশি বক্সার। মঞ্চে উঠে তাকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের প্রো-বক্সিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি আদনান হারুন। ফাইট জিতে উচ্ছ¡সিত সুরকৃষ্ণ, ‘শুধু ভারতীয় না, যে কোনো বক্সারকে হারানোর আনন্দই আলাদা।  নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য সব সময়ই গর্বের।’ রাঙামাটির এই বক্সার যোগ করেন, ‘খেতাবের লড়াইয়ে নামতে পারব এবার। সামনেই ডব্লিউবিসি (ওয়ার্ল্ড বক্সিং কাউন্সিল) চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। যে লড়াইয়ে খেলেছেন মোহাম্মদ আলী, মাইক টাইসনের মতো বক্সাররা। এবার আমি সেই প্রতিযোগিতায় খেলতে পারব। এটা শুধু আমার জন্য না, পুরো বাংলাদেশের জন্যই ইতিহাস হবে। বিশাল অর্জন অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।’  এর আগে সুর আশিষ কুমার, দীপক কুমার, মহেন্দ্র বাহাদুর চাঁদ (দুইবার), সোহাগ আলী, আনন পংখেত ও সর্ণরামকে হারান। এদিকে ওয়েলটার ওয়েট ক্যাটাগরিতে খেলেন বাংলাদেশের আল আমিন ও মোকসেদুল রানা।  এই ক্যাটাগরিতে সহজেই জিতেছেন আল আমিন। তবে ছয় রাউন্ডের খেলায় ফেদারওয়েট ক্যাটাগরিতে মালয়েশিয়ার ডাইলোনিয়েল ম্যাকডিলোনের সঙ্গে ড্র করেন বাংলাদেশের রিসাতুল মাহমুদ সাজিন।
ক্যারিয়ারের তুঙ্গে অবস্থান করছেন দেশসেরা পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা। অ্যামেচার থেকে পেশাদার রিংয়ে খেলেছেন আটটি ম্যাচ। জিতেছেন সবকটিতেই।
কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মাইক টাইসন ঢাকায় আসছেন
যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মাইক টাইসনকে ঢাকায় আনার উদ্যোগের কথা আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রফেশনাল বক্সিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান। এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিনক্ষণও জানিয়ে দিলেন তিনি। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ব্রাজিলের বিমান ধরার আগে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মুঠোফোনে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বক্সার টাইসনের সঙ্গে চুক্তি সই করব আমরা। যদি চুক্তি হয় তাহলে নভেম্বরে বাংলাদেশে আসবেন তিনি।’ মূলত বাংলাদেশি বক্সারদের পেশাদার বক্সিংয়ে অনুপ্রাণিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান আসাদুজ্জামান। জানা গেছে, আরেক পেশাদার বক্সার জুলিয়াস ফ্রান্সিস ৮ মার্চ অতিথি হিসাবে আসবেন বাংলাদেশে। যিনি একসময় লড়েছেন মাইক টাইসনের বিপক্ষে।
যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মাইক টাইসনকে ঢাকায় আনার উদ্যোগের কথা আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রফেশনাল বক্সিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান। এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিনক্ষণও জানিয়ে দিলেন তিনি।
দুর্ঘটনায় নিহত বিশ্ব রেকর্ডধারী কিপটাম
এক দশক আগেও খালি পায়ে মাঠে গবাদিপশু চরাতেন কেলভিন কিপটাম। এরপর রুয়ান্ডার কোচ গারভাইস হাকিজিমানার নজরে এসে দূরপাল­ার দৌড়ে মনোযোগ দেন তিনি। ২০১৮ সালে প্রথম বড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অন্যের জুতো ধার করতে হয়েছিল কেনিয়ার এই দৌড়বিদকে। সেই কিপটাম গত বছর ছেলেদের ম্যারাথনে বিশ্বরেকর্ড গড়ে রাতারাতি তারকা হয়ে যান। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকেও ফেভারিট ভাবা হচ্ছিল তাকে। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা সব শেষ করে দেয়। রোববার রাতে কেনিয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ম্যারাথনের বিশ্ব রেকর্ডধারী অ্যাথলেট কিপটাম ও তার কোচ হাকিজিমানা। ২৪ বছর বয়সি কিপটাম নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি একটি গাছে ধাক্কা লেগে উলটে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। একজন নারী যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে শিকাগো ম্যারাথনে ৪২ কিলোমিটার দৌড় দুই ঘণ্টা ৩৫ সেকেন্ডে শেষ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়া কিপটামের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কেনিয়ায়। গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের সভাপতি সেবাস্তিয়ান কো।
এক দশক আগেও খালি পায়ে মাঠে গবাদিপশু চরাতেন কেলভিন কিপটাম। এরপর রুয়ান্ডার কোচ গারভাইস হাকিজিমানার নজরে এসে দূরপাল­ার দৌড়ে মনোযোগ দেন তিনি।
মন্ত্রীর উপহার ঘড়িতেই সীমাবদ্ধ কিনা খতিয়ে দেখার আহ্বান টিআইবির
সেতুমন্ত্রীর উপহার ঘড়িতেই সীমাবদ্ধ কিনা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।  এরূপ সংগ্রহ কি শুধু সড়ক ও সেতুমন্ত্রীরই, না কি এর স্বরূপ ও বিস্তৃতি আরও ব্যাপক ও গভীর, তা খতিয়ে দেখে দেশবাসীকে জানাবার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এ আহ্বান জানান।  এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বিলাসবহুল ঘড়ির সংগ্রহ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা প্রশ্নবিদ্ধ, ও পর্যাপ্ত নয়। বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে’। যেভাবেই তিনি উপহারসমূহ পেয়ে থাকুন না কেন ২০১২ সালের জুনে হালনাগাদকৃত তোশাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী উপহারসমূহ যথাসময়ে তোশাখানায় জমা দেয়া হলো না কেন। তিনি বলেন, জমা না দেবার সিদ্ধান্ত যেহেতু তিনি নিয়েছেন সেহেতু সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসরণ করে উপহারপ্রাপ্ত বস্তুর প্রকৃত মূল্য অনুযায়ী অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে কি না? এ ধরনের প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।    সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক অবস্থানে থেকে তিনি কি অন্যদের স্থাপিত দৃষ্টান্ত অনুসরণ করলেন, না কি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন? এরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া অমূলক না বলে মন্তব্য করেন ড. জামান। ‘মন্ত্রী বলেছেন যে, ঠিকাদারগণ নির্বাচনের সময় ‘একটা অ্যামাউন্ট’ দিতে চেয়েছিল, যা তিনি গ্রহণ করেননি। তার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে সেসব ঠিকাদারদের এ ধরনের অনৈতিকতা ও দুর্নীতির চর্চা প্রতিরোধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে? কাউকে কি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? না কি কমপক্ষে জনস্বার্থে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে?’- জানতে চেয়েছে টিআইবি। বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা এবং নিজ দলের নেতাকর্মীসহ কাউকে ছাড় দেয়া হবে না এই অঙ্গীকারের সঙ্গে কি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হবে? এসব প্রশ্নের জবাব দেয়ার মতো সৎ সাহসের দৃষ্টান্ত সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
সেতুমন্ত্রীর উপহার ঘড়িতেই সীমাবদ্ধ কিনা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচীর ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মসূচী পালন ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বছরব্যাপী কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়েছে।  শুক্রবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধিদফতরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ ঘোষণা দেন।  এ কার্যক্রমের আওতায় প্রতিমাসে একটি করে সেবা ও প্রচারণা মাস উদযাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।  ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসে যক্ষা প্রতিরোধ ও সেবা মাস হিসাবে পালন করা।  এপ্রিল- ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ ও সেবা মাস, মে- নিরাপদ মাতৃত্ব, শিশু, কৈশোর ও মাতৃ স্বাস্থ্য সেবা মাস, জুন- ২০২০ দেশজ চিকিৎসা প্রচারণা ও সেবা মাস, জুলাই- পুষ্টিসেবা ও সচেতনতা মাস, আগস্ট- জনসম্পৃক্ত ও জনকেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা মাস, সেপ্টেম্বর- স্বাস্থ্যসেবায় রোগী নিরাপত্তা উন্নয়ন মাস, অক্টোবর- মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সেবা মাস, নভেম্বর- অসংক্রামক রোগ সচেতনতা ও সেবা মাস, ডিসেম্বর- সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রচারণা মাস, আগামী বছরের জানুয়ারি- এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা মাস এবং ফেব্রুয়ারি- ভাইরাল হেপাটাইটিস সচেতনতা ও সেবা মাস হিসাবে পালন করা হবে।  এছাড়া ২০২১ সালের মার্চ-এ মুজিব বর্ষের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।  এরপর স্বাস্থ্য ভবনে মুজিব বর্ষের ডিজিটাল কাউন্টডাউন উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অধিদফতরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচীর ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মসূচী পালন ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বছরব্যাপী কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়েছে।
মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু
লোগো উন্মোচন ও ঘড়ি চালুর মাধ্যমে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) শুরু হয়েছে।  শুক্রবার বিকাল ৫টায় কেন্দ্রীয়ভাবে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় একযোগে সারাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের ২৮টি জায়গা, বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা, দুই উপজেলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর মোট ৮৩টি স্থানে ক্ষণগণনার ঘড়ি চালু করা হয়।  প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম গ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। এবছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
লোগো উন্মোচন ও ঘড়ি চালুর মাধ্যমে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারতো না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না। শুক্রবার বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দেন বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বাংলার জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ২০ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। বাঙালি জাতি মুক্তি পেয়েছিল। শেখ মুজিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিল।  তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদাররা হামলা শুরু করেছিল ঠিক তখনই জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করেছিল। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধে বিজয় যে অবশ্যম্ভাবী সে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাঙালি তার নির্দেশ পালন করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছিল। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু। ঐতিহাসিক এই দিনটিতেই মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এই আয়োজনের মূল অনুষ্ঠান হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারতো না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না।
চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক মজনু
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মজনু পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে। জীবনে অসংখ্য মেয়েকে শয্যাসঙ্গী করার তথ্য, কীভাবে এসব অপরাধ করেও বারবার বেঁচে যায় এবং তার সিরিয়াল ধর্ষক হওয়ার পেছনের গল্প অকপটে বলে যাচ্ছেন মজনু।গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে মজনু জানায়, কয়েক বছর ধরেই নানাভাবে পথশিশু, ভবঘুরে নারীদের ফুসলিয়ে আবার কাউকে ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে আসছিল সে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে এই প্রথম নিপীড়ন করল সে।  মাস দেড়েক আগে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি এলাকায় আরেক ভবঘুরে নারী জেসমিনের সঙ্গে দেখা হয় মজনুর। সেও বিভিন্ন রেলস্টেশনে ঘুরে বেড়াত। একপর্যায়ে তার সঙ্গে সখ্য তৈরি হয় তার। এরপর প্রেমের সম্পর্ক। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে মজনু। দু'জন মাস খানেকের বেশি রাজধানীর শেওড়া, বনানী ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে কাটিয়ে দেয়। তবে কয়েক দিন আগে জেসমিন এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। সেই শোকে কাতর হয়ে পড়েন মজনু।  র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর বুধবার মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবির কাছে তুলে দেয়া হয় মজনুকে। এরপর বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাকে।  মজনু ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়ে ডিবিকে জানায়, রোববার কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে টার্গেট করার সময় তার পরিচয় সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না তার। সে মনে করেছিল, বিকৃত স্বভাবে প্রায় নিয়মিত যেভাবে 'শিকার' ধরে থাকে রোববারের ঘটনাও তাই ছিল। এমনকি টার্গেট করা ওই তরুণীকে নিয়ে রেললাইনে 'লালন-পালন' করে সঙ্গে রাখবে এমন কথাও ভাবতে থাকে সে। রাত গভীর হলে ওই তরুণীকে রাস্তার ওপারে রেললাইনে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান ছিল তার। এজন্য সে দীর্ঘ সময় তার পাশে বসে থাকে। তবে ওই ছাত্রী যখন বারবার বাধা দিচ্ছিল, তখন ঘাবড়ে যায় মজনু। একপর্যায়ে তার ভালো পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে সে উপলব্ধি করে, ভুল টার্গেটে হাত দিয়েছে সে। পরিচয় নিশ্চিত হতে বারবার তাই মেয়েটির নাম-পরিচয় ও কোথায় পড়াশোনা করছে তা জানতে চেয়েছিল মজনু। সে ভুল করে 'বড় কোনো মানুষ'কে টার্গেট করেছে, এটা বুঝতে পারে অবশেষে। এদিকে ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সারাক্ষণ মজনুর শরীর কাঁপছিল। তার মাথা ছিল নিচু। উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে রাজধানীর শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ক্যাম্পাস থেকে রওনা হন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ভুল করে কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকায় নেমে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে হেটে শেওড়া যাওয়ার পথে তাকে ফলো করেন ধর্ষক। তাকে সড়ক থেকে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। তিন ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে পেলে বন্ধুদের সহায়তায় হাসপাতালে যান ওই ছাত্রী। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে ফরেনসিক পরীক্ষায় তার ধর্ষণের আলামত মিলেছে। এ ঘটনায় পরদিন শাহবাগ ও ক্যান্টনমেন্ট থানায় দুটি মামলা হয়। ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা মামলায় ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ধর্ষক যুবকের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা। স্বাস্থ্য মাঝারি। ঘটনার সময় তার চুল ছোট ছোট ছিল। স্যান্ডেল পরা এই যুবকের পরনে পুরাতন জিন্সের প্যান্ট ছিল। গায়ে ময়লা কালো রঙের ফুলহাতা জ্যাকেট ছিল। এদিকে, সহপাঠী ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর প্রকাশের পর রোববার রাত থেকে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মজনু পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে। জীবনে অসংখ্য মেয়েকে শয্যাসঙ্গী করার তথ্য, কীভাবে এসব অপরাধ করেও বারবার বেঁচে যায় এবং তার সিরিয়াল ধর্ষক হওয়ার পেছনের গল্প অকপটে বলে যাচ্ছেন মজনু।গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তুরাগতীরে স্মরণকালের বৃহৎ জুমায় লাখো মানুষের ঢল
স্মরণকালের বৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হলো টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে। লাখ লাখ মানুষ এই জুমার নামাজের জামাতে অংশ নেন। জুমার নামাজের ইমামতি ও জুমাপূর্ব খুতবা দেন আলমি শুরার সদস্য ও কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের। দুপুর পৌনে ২টায় জুমার জামাত শুরু হয়, শেষ হয় ২টা ৫২ মিনিটে। জুমার নামাজ শেষে ইজতেমায় আগত এক মুসল্লির মৃত্যুতে জানাজার নামাজও অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত মুসল্লিরা শৃঙ্খলার সঙ্গে নামাজে শরিক হন। জুমার জামাতের সারি মাঠের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। ইজতেমা মাঠের বাইরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছিল মুসল্লিদের ভিড়। আশপাশের সড়ক ও স্থাপনাগুলো দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা বৃহৎ এই জামাতে শরিক হন। স্থানীয় মসজিদগুলোও ছিল মুসল্লিদের দ্বারা পরিপূর্ণ। জুমার নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার ভোর থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ে। ময়দান অভিমুখে হাতে জায়নামাজ ও টুপি মাথায় মুসল্লিদের জনস্রোত দেখা গেছে। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আমবয়ান করেন রায়বেন্ডের মুরব্বি মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ। এর পর সকাল ১০টায় স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষক এবং অন্য পেশাজীবীদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান হয়। ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানিয়েছেন, অন্যবারের তুলনায় এবারের ইজতেমায় মুসল্লির সংখ্যা বেশি। ইজতেমা মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে নতুন ১৪টি খিত্তা (নির্ধারিত স্থান) যুক্ত করার মাধ্যমে মাঠের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আর পুরো ইজতেমাকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এর পরও জায়গা না পাওয়ায় ময়দানের বাইরে রাস্তায় অবস্থান করছেন মুসল্লিরা। আর মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩১টি ভবনে আছে ৮ হাজার ৩৩১টি শৌচাগার। ১৭টি গভীর নলকূপ দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে পানি। তিনটি গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে মাঠে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ময়দানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা তিন দিন করে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে সা’দ অনুসারীদের ইজতেমা। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের দুই গ্রুপের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
স্মরণকালের বৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হলো টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে। লাখ লাখ মানুষ এই জুমার নামাজের জামাতে অংশ নেন। জুমার নামাজের ইমামতি ও জুমাপূর্ব খুতবা দেন আলমি শুরার সদস্য ও কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের।
ইজতেমায় জুমার নামাজ আদায়ে লাখো মুসল্লির ঢল
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগতীরে মুসল্লিরা ভিড় করেছেন। কিছুক্ষণ পরই জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ মুহূর্তে জুমার খুতবা শুনছেন লাখো মুসল্লি।  জুমার নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার ভোর থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ে।  এরই মধ্যে তুরাগতীরের মূল ইজতেমা মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা। ময়দান অভিমুখে হাতে জায়নামাজ ও টুপি মাথায় মুসল্লিদের জনস্রোত দেখা গেছে। মাঠে আজ অনুষ্ঠিত হবে স্মরণকালের বৃহৎ জুমার জামাত। মাঠের বৃহৎ জুমার নামাজের ইমামতি ও জুমাপূর্ব বয়ান করবেন আলমি শুরার সদস্য, কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের। ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আমবয়ান করেন রায়বেন্ডের মুরব্বি মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ। এর পর সকাল ১০টায় স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষক এবং অন্য পেশাজীবীদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান হয়। ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানিয়েছেন, অন্যবারের তুলনায় এবারের ইজতেমায় মুসল্লির সংখ্যা বেশি। ইজতেমা মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে নতুন ১৪টি খিত্তা (নির্ধারিত স্থান) যুক্ত করার মাধ্যমে মাঠের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আর পুরো ইজতেমাকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এর পরও জায়গা না পাওয়ায় ময়দানের বাইরে রাস্তায় অবস্থান করছেন মুসল্লিরা। আর মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩১টি ভবনে আছে ৮ হাজার ৩৩১টি শৌচাগার। ১৭টি গভীর নলকূপ দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে পানি। তিনটি গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে মাঠে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।  মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ময়দানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা তিন দিন করে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।  ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে সা’দ অনুসারীদের ইজতেমা। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের দুই গ্রুপের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগতীরে মুসল্লিরা ভিড় করেছেন। কিছুক্ষণ পরই জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ মুহূর্তে জুমার খুতবা শুনছেন লাখো মুসল্লি।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এমপি মোজাম্মেলের জানাজা অনুষ্ঠিত
বাগেরহাট-৪ আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হোসেনের জানাজা শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হোসেনের কফিনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প্রথমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মোজাম্মেল হোসেনের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মো. মোজাম্মেল হোসেনের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে মরহুমের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।  এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি ও হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতার পক্ষ থেকে মো. মোজাম্মেল হোসেনের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। মোজাম্মেল হোসেনের জানাজায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, মির্জা আজম এমপি, আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মো. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শরিক হন। মরহুমের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন হুইপ ইকবালুর রহিম। পরে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শরিক হন।
বাগেরহাট-৪ আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হোসেনের জানাজা শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানান তিনি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগসহ দলটির বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উল্লেখ্য, একাত্তরের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা শুরু করে। ওই রাতেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারাগারে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, যেখানে একটি প্রহসনমূলক মামলার মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছিল এবং সেই রায় কার্যকরের ক্ষণগণনা করছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা। তাঁর অকুতোভয় নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল বাঙালি জাতি। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তাঁর মুক্তির মধ্যদিয়েই পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন করে বাঙালি। সাড়ে নয় মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু।  এর পর থেকে দিনটিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করে আওয়ামী লীগ।  দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন এবং সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিকালে আলোচনা হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানান তিনি।
আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু বিশ্ব ইজতেমা
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আজ বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পাকিস্তানের মাওলানা খুরশিদ আলম এ বয়ান করেন। তবে এর আগেই বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকেই শুরু হয় তালিমি বয়ান। ইজতেমা উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মতো মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্বশানি্ত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করবে। ইজতেমায় অংশ নিতে বুধবার থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার দুপুর না গড়াতেই ভরে যায় ময়দান। এরপরও আসতে থাকেন মুসল্লিরা। যতদূর চোখ যায় শুধু টুপি পরা মানুষ। আজ এখানে জুমার নামাজে মুসল্লির ঢল নামবে। জুমার নামাজে ইমামতি করবেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা মুহম্মদ জুবায়ের আহমেদ। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একপশলা বৃষ্টি হয় টঙ্গীতে। এরপর থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি ও হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মুসল্লিদের। বিকাল পর্যন্ত ৫১ দেশের প্রায় ২ হাজার বিদেশি মেহমান ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম। তিনি বলেন, এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক এসেছেন ভারত থেকে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর তালিমি বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হক, বাদ আসর পাকিস্তানের মাওলানা ফাহিম, বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা। তারা ঈমান ও আমলের গুরুত্ব এবং তাবলিগের কাজের উসুল বর্ণনা করেন। তাবলিগের শূরা সদস্য ভারতের মাওলানা আহমদ লাট, মাওলানা ফারুক (ভাই ফারুক), মাওলানা জুহায়েরুল হাসান, মাওলানা ইসমাইল গোদরা ও পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক, মাওলানা খুরশিদ আলম, মাওলানা নওশাদ, মাওলানা হাসমত উল্লাহ, মাওলানা বখতে মুনির, মাওলানা শাহেদ প্রমুখ ময়দানে রয়েছেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ দুপুরে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে আসেন। তিনি তাবলিগের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলেন। ময়দানের উত্তর পাশে নিউ মুন্নু ফাইন কটন মিলস মাঠে ইসলামী ফাউন্ডেশন ও হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইজতেমার খাতিরে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ অতি পরিচিত নাম। আগত মুসল্লিদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সব বিভাগকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, তাবলিগের প্রতি সবার শ্রদ্ধা আছে। এর মধ্যে কারও ভুলত্রুটি যদি থাকে, তা নিরসনের চষ্টো চলছে। দুই পক্ষকে একত্রে আনার চষ্টো চলছে। হামদর্দ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ধর্ম সচিব নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি আবদুল হামিদ জমাদ্দার, হামদর্দের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া প্রমুখ। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি ময়দানে সমবেত হয়েছেন। সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে ১৪টি কমিটি সুনির্দষ্টি কাজ করছে। ইজতেমা ময়দানে (খিত্তা নং-৫৩ ও খুঁটি নং-২৬৫) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার লাখিরপাড় গ্রামের হাশেম শিকদারের ছেলে ইয়াকুব শিকদার (৭৫)। জানাজা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বহুমাত্রিক নিরাপত্তা: ইজতেমাকে ঘিরে তিন স্তরের বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। নদে ব্যবহার হবে স্পিডবোট। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এবার কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। এরপরও ইজতেমা এলাকায় জঙ্গি-সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বেনজীর আহমেদ বলেন, ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোশাকধারী র্যাব সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সুইপিং টিম ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। পুরো ময়দান সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। বাইরে চেকপোস্টে মুসল্লি ও যানবাহন তল্লাশি করা হবে। ডিজি র‌্যাব বলেন, ইজতেমা ঘিরে কোনো গুজব যাতে না ছড়ানো হয়, সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হচ্ছে। যাচাই না করে কোনো নিউজ শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এর আগে র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল নিরাপত্তাব্যবস্থা তুলে ধরেন। বিনামূল্যে চিকিত্সাসেবা: নিউ মুন্নু ফাইন কটন মিলস মাঠে ইসলামিক মিশন, হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ, যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন, ইবনে সিনা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর সিভিল সার্জন, টঙ্গী ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, র্যাব, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনসহ প্রায় অর্ধশত প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে চিকিত্সাসেবা দেবে। প্রথম পর্বে খিত্তাভিত্তিক অবস্থান: গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (২, ৩ ও ৪), ঢাকা (৫-১৯ ও ২৪-২৫, ২৭-২৯, ৩২), রাজশাহী (২০), নওগাঁ (২১), নাটোর (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (২৩), সিরাজগঞ্জ (২৬), টাঙ্গাইল (৩০), নড়াইল (৩১), রংপুর (৩৩), নীলফামারী (৩৪), কুড়িগ্রাম (৩৫), লালমনিরহাট (৩৬), গাইবান্ধা (৩৭), মুন্সীগঞ্জ (৩৮), মাগুরা (৩৯), ঝিনাইদহ (৪০), বগুড়া (৪১), নারায়ণগঞ্জ (৪২), ফরিদপুর (৪৩), যশোর (৪৪), সাতক্ষীরা (৪৫), বাগেরহাট (৪৬), নরসিংদী (৪৭), ভোলা (৪৮), জামালপুর (৪৯), ময়মনসিংহ (৫০-৫১), মেহেরপুর (৫২), চুয়াডাঙ্গা (৫৩), নেত্রকোনা (৫৪), কিশোরগঞ্জ (৫৫), গোপালগঞ্জ (৫৬), বরিশাল (৫৭), রাজবাড়ী (৫৮), শেরপুর (৫৯), শরীয়তপুর (৬০), মাদারীপুর (৬১), সিলেট (৬২), কক্সবাজার (৬৩), রাঙ্গামাটি (তুরাগ নদের পশ্চিমপাড়) (৬৪), খাগড়াছড়ি (তুরাগ নদের পশ্চিমপাড়) (৬৫), সুন্দরবন (৬৬), ফেনী (৬৭), নোয়াখালী (৬৮), লক্ষ্মীপুর (৬৯), চঁাদপুর (৭০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৭১), খুলনা (৭২), পটুয়াখালী (৭৩), বরগুনা (৭৪), চট্টগ্রাম (৭৫), কুমিল্লা (৭৬), পিরোজপুর (৭৭), ঝালকাঠি (৭৮), সুনামগঞ্জ (৭৯), হবিগঞ্জ (৮০), মেৌলভীবাজার (৮১), পাবনা (৮২), ঠাকুরগঁাও (৮৩), পঞ্চগড় (৮৪), দিনাজপুর (৮৫), জয়পুরহাট (৮৬), কুষ্টিয়া (৮৭)। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মেৌলভীবাজার, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরের খিত্তাগুলোর অবস্থান তুরাগ নদের পশ্চিম পাড়ে। এ ছাড়াও ১৫(খ), ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯১, ৯২নং খিত্তাগুলো সংরক্ষিত হিসেবে রাখা হয়েছে।
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আজ বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
বিশ্বের কোনো প্রতিরক্ষা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে প্রতিরোধ সম্ভব না: মার্কিন বিশেষজ্ঞ
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রতিরক্ষা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হ্যারি কাজিয়ানস বলেছেন, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে মূলত একটি বার্তা দিতে চেয়েছে ইরান। সেটা হচ্ছে, তাদের সক্ষমতা রয়েছে। সঙ্গে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি। প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে বুধবার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। কাজিয়ানস বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ইরানের কাছে দুই হাজার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। কাজেই তাদের প্রতিশোধ হালকাভাবে নেয়া উচিত হবে না। ‌‘কার্যত, ইরানিদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি চেষ্টাও করে, আমরা পারবো না।’  বুধবার সিএনবিসিকে তিনি বলেন, এমনকি যদি বিশ্বের তাবত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, তবুও আমরা ইরানকে নিবৃত্ত করতে পারবো না। এই বিশ্লেষক বলেন, যদি তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পুরোপুরি মুখোমুখি যুদ্ধ লেগে যায়, তবে তা হবে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী। তেহরান সম্ভাব্য ব্যাপক ক্ষতি করতে পারবে। কেবল মার্কিন ঘাঁটিরই না, যুদ্ধজাহাজ ও মধ্যপ্রাচ্যের সব সামরিক ঘাঁটিতে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা নিয়ে জানতে চাইলে এই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, আমি এখন মনে করছি, এটাই হচ্ছে যুদ্ধের প্রস্তাবনা। সত্যিকার প্রশ্ন হচ্ছে, এসবের জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন কী করবে? সেক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসনের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক মূল লঞ্চারে হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এটাই হবে নিশ্চিতভাবে সমানুপাতিক হামলা। দ্বিতীয়ত, ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক কৌশলগত সামরিক হামলার জন্য এসবকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প। ‌‌‘যাতে ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ স্থাপনা ও বড় ঘাঁটিগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে।’ হ্যারি কাজিয়ানস বলেন, মধ্যপাচ্যে দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নেয়ার মতো অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের এখন নেই। কারণ এই আয়োজন সারতে যুক্তরাষ্ট্রকে কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতি নিতে হবে। অঞ্চলটিতে নিজেদের বাহিনীকে প্রস্তুত করতে হবে। তিনি বলেন, কিন্তু তখন ইরান নিবৃত্তিমূলক হামলা চালাতে সক্ষম হবে। ‘সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা লাঘব কিংবা কূটনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়নি।’ ওমানে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড শিমিয়ার বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক হামলা সম্ভবত একটি বড় সুযোগ। এতে কোনো হতাহত ঘটেনি। দুই পক্ষই এখন বলছে, আমরা সবাই কিছু করেছি। এখন আমরা নিবৃত্ত হতে পারি। ছায়া বাহিনী ব্যবহার না করে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। কাজিয়ানসসের ভাষায়, দেশটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখাতে চেয়েছেন, সামরিকভাবে তারা হালকা না। তাদের তুচ্ছ করে দেখা উচিত হবে না। বহু বছর ধরেই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে মনোযোগ দিয়েছেন ইরানিরা। তিনি বলেন, আমার যুক্তি হচ্ছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে ইরান পরাশক্তি। তার মতে, ইরান এমন এক গুচ্ছ সক্ষমতা তৈরি করেছে, যাতে জবাব দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মতো সামরিক পরাশক্তির জন্য কঠিনই। আমি মনে করি, তারা সেটাই করতে চেয়েছে। তারা প্রকাশ্যেই সেটি দেখাতে চেয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রতিরক্ষা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হ্যারি কাজিয়ানস বলেছেন, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে মূলত একটি বার্তা দিতে চেয়েছে ইরান। সেটা হচ্ছে, তাদের সক্ষমতা রয়েছে। সঙ্গে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হত্যার জন্য হামলা চালানো হয়নি: ইরানি কমান্ডার
ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে সেনাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়নি বলে জানিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ।   বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক।   ইরানি এ সিনিয়র কমান্ডার বলেন, মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আমেরিকার সৈন্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, তবে ওয়াশিংটনের সামরিক সরঞ্জামাদি ধ্বংসের জন্য পুরো অঞ্চলজুড়ে এ সিরিজ হামলা চালানো হয়। ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দুই সামরিকঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছোড়ার আগে মার্কিন বিমান-ড্রোন সিস্টেমে ইরান সাইবার আক্রমণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ইরানের কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা ছিল এবং বুধবার তেহরান যখন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে, তখন আমেরিকার বিমান ও ড্রোন নেভিগেশন সিস্টেম অকেজো করার জন্য সাইবার আক্রমণ করা হয়েছিল।  আমিরালি হাজিজাদেহ আরও বলেন, এ হামলার মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী দ্বারা ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার যথাযথ প্রতিশোধ নেয়া হলো।  ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিকঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে বুধবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো সৈন্য মারা যায়নি। তবে ওই হামলায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে সেনাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়নি বলে জানিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ।
সোলাইমানির অবস্থান কীভাবে শনাক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র?
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির অবস্থান শনাক্ত করে তাতে নির্ভুল হামলা চালাতে সহায়তা করে গুপ্তচরেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশেষ প্রতিবেদনে সেই তথ্য উঠে এসেছে। কালো গ্লাসে ঢাকা গাড়িতে করে দামেস্কো বিমানবন্দরে আসেন ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তার সঙ্গে ছিলেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ডসের চার সদস্য। চাম উইংস এয়ারবাস এ-৩২০ এর সিঁড়ির কাছেই থামেন তারা। বিমানটি বাগদাদ যাবে। চাম উইংস এয়ারলাইনসের এক কর্মী রয়টার্সকে বলেন, যাত্রীদের তালিকায় সোলাইমানি কিংবা বিপ্লবী গার্ডসের সদস্যরা কেউ ছিলেন না। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় নিজের ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার এড়িয়ে গেছেন সোলাইমানি। জীবনে শেষবারের মতো কোনো যাত্রীবাহী বিমানে উঠলেন সোলাইমানি। বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তার দুটি সাঁজোয়া যানের বহরে মার্কিন ড্রোন থেকে ছোড়া রকেট হামলায় তিনি নিহত হন। বিমানবন্দরে সোলাইমানির সঙ্গে দেখা করা ইরাকি পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও নিহত হন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে– সোলাইমানির অবস্থান কীভাবে শনাক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র। সোলাইমানির বাগদাদ আগমন নিয়ে স্পর্শকাতর নিরাপত্তা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফাঁস করেছে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরতার গুপ্তচরদের একটি নেটওয়ার্ক। এ বিষয়টি এখন স্পষ্ট সোলাইমানি হত্যার তদন্তকারী ইরাকি তদন্ত দল। সোলাইমানির নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে অবগত একটি ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য দিয়েছে। ইরাকের দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ৩ জানুয়ারি মার্কিন হামলার কয়েক মিনিট পরেই ইরাকি তদন্ত শুরু হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা বিমানবন্দরটি ঘেরাও করে রেখেছে। এ ছাড়া পুলিশ, পাসপোর্ট ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ কয়েক ডজন নিরাপত্তাকর্মীকে সেখান থেকে যেতে দেয়া হয়নি। কীভাবে দামেস্কো ও বাগদাদ বিমানবন্দরে সন্দেহভাজন সংবাদদাতারা সোলাইমানিকে শনাক্ত ও তার ওপর নির্ভুলভাবে হামলা চালাতে সহায়তা করেছেন, তদন্ত কর্মকর্তারা মূলত সেদিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন। ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকারী ফালিহ আল-ফাইয়াদের নেতৃত্বে এই তদন্ত চলছে। এ ছাড়া শিয়া মিলিশিয়াদের সঙ্গে সমন্বয়ক পিএমএফেরও প্রধান তিনি। সোলাইমানির আগমন নিয়ে স্পর্শকাতর নিরাপত্তা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফাঁস করেছে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতর গুপ্তচরদের একটি নেটওয়ার্ক। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার তদন্তে এমন জোরালো আভাস রয়েছে বলে ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের মধ্যে বাগদাদ বিমানবন্দরের দুই নিরাপত্তাকর্মী ও চাম উইংসের দুই কর্মী রয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, দামেস্কো বিমানবন্দরে এক গুপ্তচর ও বিমানেই অবস্থান করে কাজ করছিল। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, গুপ্তচরদের একটি বড় গোষ্ঠীর অংশ হিসেবে কাজ করেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে তথ্য ফাঁস করা চার সন্দেহভাজন। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। চাম উইংসের ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে সিরীয় গোয়েন্দা বাহিনী। দুই ইরাকি নিরাপত্তাকর্মী এমন তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরীয় গোয়েন্দা পরিদফতরের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বাগদাদ বিমানবন্দরের দুই নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার গোয়েন্দারা। এসব গুপ্তচর দেশটির স্থাপনা নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এক কর্মকর্তা বলেন, বাগদাদ তদন্ত দলের প্রাথমিক তদন্তে এটিই বলছে যে, সোলাইমানিকে হত্যার প্রথম আভাসটি আসে দামেস্কো বিমানবন্দর থেকে। গুপ্তচরদের বাগদাদ বিমানবন্দর সেলের কাজ ছিল, তার আগমন ও গাড়িবহর নিয়ে বিস্তারিত তথ্য মার্কিন বাহিনীকে দেয়া। তবে এ নিয়ে জানতে চাইলে ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা তদন্ত সংস্থার গণমাধ্যম শাখার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরাকি মিশনের বক্তব্য চাইলেও তারা দিতে রাজি হয়নি। হামলায় ইরাক ও সিরিয়ার সংবাদদাতারা কোনো ভূমিকা রেখেছে কিনা তা জানতে চাইলে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, হামলার বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান শনাক্ত করে আসছে। কীভাবে এমন নির্ভুলভাবে হামলা সম্ভব হলো, তা জানতে চাইলে বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি। দামেস্কোর চাম উইংসের ব্যবস্থাপক বলছেন, তদন্ত বা হামলা নিয়ে কর্মীদের কথা বলতে নিষেধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ক্যামরার ফুটেজের বরাতে বিমানবন্দরের দুই কর্মকর্তা বলেন, গত ৩ জানুয়ারি রাত ১২টা ৩০ মিনিটে বাগদাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে সোলাইমানির বিমান। বিমান থেকে বেরিয়ে কাস্টমসে না গিয়ে টারমাকের সিঁড়িতে ওঠেন তারা। বিমানের বাইরে মুহান্দির তার সঙ্গে দেখা করেন। পরে অপেক্ষারত সাঁজোয়া যানের দিকে তারা পা বাড়ান। আরেকটি সাঁজোয়া এসইউভিতে ওঠা সোলাইমানিকে পাহারা দিচ্ছিলেন সেনারা। কর্মকর্তারা বলেন, বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে মূল সড়কের দিকে ধাবিত হয় তাদের গাড়িবহর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দুটি রকেট গিয়ে আঘাত হানে সোলাইমানি ও মুহান্দিসকে বহন করা গাড়িতে। তখন রাত ১২টা ৫৫ মিনিট। পরে তাদের নিরাপত্তা সদস্যদের বহনকারী এসইউভিতে গিয়ে আঘাত হানে দ্বিতীয় মার্কিন রকেট। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বিমানবন্দরের রাতের শিফটের কর্মীদের কাছে আসা মেসেজ ও ফোনকল তদন্তে মনোযোগ দেন তদন্তকারীরা। সোলাইমানির আগমনের খবর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কে ফাঁস করেছেন, তা বের করতেই এই তদন্ত করা হয়। বিমানবন্দর নিরাপত্তা ও চাম উইংসের কর্মীদের কয়েক ঘণ্টা ধরে জেরা করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, তাকে ছেড়ে দেয়ার আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা একনাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সোলাইমানি আসার আগে তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিংবা বার্তা পাঠিয়েছেন, প্রথম চার ঘণ্টা তাকে সেই প্রশ্ন করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোন জব্দ করে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি বলেন, তারা আমাকে ১০ লাখ প্রশ্ন করেছেন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বাগদাদে মার্কিন গুপ্তহত্যার শিকার হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। পেন্টাগনের নির্দেশে তাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির অবস্থান শনাক্ত করে তাতে নির্ভুল হামলা চালাতে সহায়তা করে গুপ্তচরেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশেষ প্রতিবেদনে সেই তথ্য উঠে এসেছে।
সৌদির ধ্বংস দেখে মরতে চেয়েছিলেন মুহান্দিস, ভিডিও ভাইরাল
সৌদি আরব ধ্বংস হয়েছে– এমনটা দেখার পরেই মরতে চেয়েছিলেন মার্কিন হামলায় নিহত ইরাকি পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিস। ইরানি টেলিভিশনে সম্প্রচারের পর সামাজিকমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, বছর তিনেক আগে মুহান্দিসকে নিয়ে এই প্রামাণ্যচিত্রটি বানিয়েছিল ইরানি সম্প্রচার মাধ্যম। শনিবার সেটি নতুন করে সম্প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা আইআরআইবিতেও সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিপ্লবী গার্ডসের ঘনিষ্ঠ ওডব্লিউজে এই প্রামাণ্যচিত্রের প্রযোজন করছে। ভিডিওতে মোহান্দিসকে দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। এতে তারা ‘শাহাদত’ নিয়ে আলোচনা করেন। ওই দুই লোক বলছিলেন, ইসরাইল ধ্বংসের পরেই তারা মুহান্দিসকে শহীদ হিসেবে দেখতে চান। এর আগে না। জবাবে মুহান্দিস বলেন, ইসরাইলের দরকার নেই। সৌদি আরবের ধ্বংস দেখার পর তিনি শহীদ হতে চান। যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেও তিনি সৌদির প্রতি জোর দিয়ে বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতেই আমেরিকা ধ্বংস হয়ে যাবে। গত জানুয়ারিতে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মোহান্দিস।  عاجل : مواقع الحرس الثوري الإيراني نشرت فيديو من ابو مهدي المهندس قبل قليل وهو يتكلم باللغة الفارسية مع صحفيين من قناة تابعة للحرس الثوري يقول المهندس : أتمنى أموت وأرى دمار الرياض والسعودية وليس إسرائيل ، السعودية فقط نريد دمارها . pic.twitter.com/9yXPjetBGR— محمد مجيد الأحوازي (@MohamadAhwaze) January 9, 2020
সৌদি আরব ধ্বংস হয়েছে– এমনটা দেখার পরেই মরতে চেয়েছিলেন মার্কিন হামলায় নিহত ইরাকি পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিস।
সোলাইমানি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রকে যেভাবে সহায়তা করে ইরাক-সিরিয়ার গুপ্তচররা
কালো গ্লাসে ঢাকা গাড়িতে করে দামেস্কো বিমানবন্দরে আসেন ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তার সঙ্গে ছিলেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ডসের চার সদস্য। চাম উইংস এয়ারবাস এ-৩২০ এর সিঁড়ির কাছেই থামেন তারা। বিমানটি বাগদাদ যাবে। চাম উইংস এয়ারলাইনসের এক কর্মী রয়টার্সকে বলেন, যাত্রীদের তালিকায় সোলাইমানি কিংবা বিপ্লবী গার্ডসের সদস্যরা কেউ ছিলেন না। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় নিজের ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার এড়িয়ে গেছেন সোলাইমানি।  জীবনে শেষবারের মতো কোনো যাত্রীবাহী বিমানে উঠলেন সোলাইমানি। বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তার দুটি সাঁজোয়া যানের বহরে মার্কিন ড্রোন থেকে ছোড়া রকেট হামলায় তিনি নিহত হন। বিমানবন্দরে সোলাইমানির সঙ্গে দেখা করা ইরাকি পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও নিহত হন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে– সোলাইমানির অবস্থান কীভাবে শনাক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র। সোলাইমানির বাগদাদ আগমন নিয়ে স্পর্শকাতর নিরাপত্তা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফাঁস করেছে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরতার গুপ্তচরদের একটি নেটওয়ার্ক। এ বিষয়টি এখন স্পষ্ট সোলাইমানি হত্যার তদন্তকারী ইরাকি তদন্ত দল। সোলাইমানির নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে অবগত একটি ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।  ইরাকের দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ৩ জানুয়ারি মার্কিন হামলার কয়েক মিনিট পরেই ইরাকি তদন্ত শুরু হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা বিমানবন্দরটি ঘেরাও করে রেখেছে। এ ছাড়া পুলিশ, পাসপোর্ট ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ কয়েক ডজন নিরাপত্তাকর্মীকে সেখান থেকে যেতে দেয়া হয়নি। কীভাবে দামেস্কো ও বাগদাদ বিমানবন্দরে সন্দেহভাজন সংবাদদাতারা সোলাইমানিকে শনাক্ত ও তার ওপর নির্ভুলভাবে হামলা চালাতে সহায়তা করেছেন, তদন্ত কর্মকর্তারা মূলত সেদিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন।   ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকারী ফালিহ আল-ফাইয়াদের নেতৃত্বে এই তদন্ত চলছে। এ ছাড়া শিয়া মিলিশিয়াদের সঙ্গে সমন্বয়ক পিএমএফেরও প্রধান তিনি। সোলাইমানির আগমন নিয়ে স্পর্শকাতর নিরাপত্তা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফাঁস করেছে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতর গুপ্তচরদের একটি নেটওয়ার্ক। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার তদন্তে এমন জোরালো আভাস রয়েছে বলে ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের মধ্যে বাগদাদ বিমানবন্দরের দুই নিরাপত্তাকর্মী ও চাম উইংসের দুই কর্মী রয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, দামেস্কো বিমানবন্দরে এক গুপ্তচর ও বিমানেই অবস্থান করে কাজ করছিল। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, গুপ্তচরদের একটি বড় গোষ্ঠীর অংশ হিসেবে কাজ করেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে তথ্য ফাঁস করা চার সন্দেহভাজন। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। চাম উইংসের ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে সিরীয় গোয়েন্দা বাহিনী। দুই ইরাকি নিরাপত্তাকর্মী এমন তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরীয় গোয়েন্দা পরিদফতরের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বাগদাদ বিমানবন্দরের দুই নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার গোয়েন্দারা। এসব গুপ্তচর  দেশটির স্থাপনা নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এক কর্মকর্তা বলেন, বাগদাদ তদন্ত দলের প্রাথমিক তদন্তে এটিই বলছে যে, সোলাইমানিকে হত্যার প্রথম আভাসটি আসে দামেস্কো বিমানবন্দর থেকে। গুপ্তচরদের বাগদাদ বিমানবন্দর সেলের কাজ ছিল, তার আগমন ও গাড়িবহর নিয়ে বিস্তারিত তথ্য মার্কিন বাহিনীকে দেয়া। তবে এ নিয়ে জানতে চাইলে ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা তদন্ত সংস্থার গণমাধ্যম শাখার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরাকি মিশনের বক্তব্য চাইলেও তারা দিতে রাজি হয়নি। হামলায় ইরাক ও সিরিয়ার সংবাদদাতারা কোনো ভূমিকা রেখেছে কিনা তা জানতে চাইলে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, হামলার বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান শনাক্ত করে আসছে। কীভাবে এমন নির্ভুলভাবে হামলা সম্ভব হলো, তা জানতে চাইলে বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি। দামেস্কোর চাম উইংসের ব্যবস্থাপক বলছেন, তদন্ত বা হামলা নিয়ে কর্মীদের কথা বলতে নিষেধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ক্যামরার ফুটেজের বরাতে বিমানবন্দরের দুই কর্মকর্তা বলেন, গত ৩ জানুয়ারি রাত ১২টা ৩০ মিনিটে বাগদাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে সোলাইমানির বিমান। বিমান থেকে বেরিয়ে কাস্টমসে না গিয়ে টারমাকের সিঁড়িতে ওঠেন তারা। বিমানের বাইরে মুহান্দির তার সঙ্গে দেখা করেন। পরে অপেক্ষারত সাঁজোয়া যানের দিকে তারা পা বাড়ান। আরেকটি সাঁজোয়া এসইউভিতে ওঠা সোলাইমানিকে পাহারা দিচ্ছিলেন সেনারা। কর্মকর্তারা বলেন, বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে মূল সড়কের দিকে ধাবিত হয় তাদের গাড়িবহর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দুটি রকেট গিয়ে আঘাত হানে সোলাইমানি ও মুহান্দিসকে বহন করা গাড়িতে। তখন রাত ১২টা ৫৫ মিনিট। পরে তাদের নিরাপত্তা সদস্যদের বহনকারী এসইউভিতে গিয়ে আঘাত হানে দ্বিতীয় মার্কিন রকেট। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বিমানবন্দরের রাতের শিফটের কর্মীদের কাছে আসা মেসেজ ও ফোনকল তদন্তে মনোযোগ দেন তদন্তকারীরা। সোলাইমানির আগমনের খবর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কে ফাঁস করেছেন, তা বের করতেই এই তদন্ত করা হয়। বিমানবন্দর নিরাপত্তা ও চাম উইংসের কর্মীদের কয়েক ঘণ্টা ধরে জেরা করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, তাকে ছেড়ে দেয়ার আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা একনাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সোলাইমানি আসার আগে তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিংবা বার্তা পাঠিয়েছেন, প্রথম চার ঘণ্টা তাকে সেই প্রশ্ন করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোন জব্দ করে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি বলেন, তারা আমাকে ১০ লাখ প্রশ্ন করেছেন। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার বাগদাদে মার্কিন গুপ্তহত্যার শিকার হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। পেন্টাগনের নির্দেশে তাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
কালো গ্লাসে ঢাকা গাড়িতে করে দামেস্কো বিমানবন্দরে আসেন ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তার সঙ্গে ছিলেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ডসের চার সদস্য। চাম উইংস এয়ারবাস এ-৩২০ এর সিঁড়ির কাছেই থামেন তারা। বিমানটি বাগদাদ যাবে।
মার্কিন-ইরান মধ্যস্থতায় আসছেন পুতিন!
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা যখন বাড়ছে, তখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারেন বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী উইলিয়াম কোহেন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এমন দাবি করেছেন। কোহেন বলেন, আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট পুতিন চেষ্টা করতে যাচ্ছেন, তিনি জড়িত হচ্ছেন এবং এখানে একজন শান্তিপ্রতিষ্ঠাকারী হবেন। মেইন থেকে নির্বাচিত সাবেক এই রিপাবলিকান সিনেটর বলেন, আমি মনে করি, পুতিন এগিয়ে এসে বলবেন, আপনাদের এই সমস্যার সমাধানে আমাকে সহায়তার সুযোগ দিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে পেন্টাগন প্রধানেরও দায়িত্ব পালন করেছেন কোহেন। সাম্প্রতিক ট্রাম্প-ইরান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চলছে। কোহেন বলেন, আমি কিছুটা আশাবাদী যে শান্তিপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রাশিয়া এগিয়ে আসবে। সিরিয়ায় যেমনটা হয়েছে, তেমনি ইরাক থেকে আমেরিকানদের চলে আসার ক্ষেত্রে রাশিয়ার সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ দেখতে পেয়েছেন তিনি। পাঁচ বছর আগের পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে জার্মানি ও ফ্রান্স। যদিও জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর চুক্তি থেকে প্রায়ই সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ২০০১ সালে কোহেন গ্রুপ কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠা করেন উইলিয়াম কোহেন। বললেন, বহুপক্ষীয় পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে ট্রাম্প একতরফাভাবে সরে আসার ঘোষণা দেয়ার পর ইরান তার পরমাণু স্থাপনাগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, তা নিয়ে একটি চুক্তির মধ্যস্থতার চেষ্টা করতে পারে রাশিয়া। তিনি বলেন, ইরানও চাচ্ছে প্রতিবেশী ইরাক থেকে মার্কিন সেনারা সরে যাক। যাতে রাশিয়ার খুশি হওয়ার কথা। মধ্যপ্রাচ্য ও সিরিয়ার রাজনীতিতে বড় খেলোয়াড়ের ভূমিকা রেখে আসছে মস্কো। এদিকে কোনো হতাহতের উদ্দেশ্যে ইরাকি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান হামলা চালায়নি বলে দাবি করেছেন বিপ্লবী গার্ডসের এক কমান্ডার। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতা এড়াতেই এমনটা করা হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা বলে আসছিলেন। বুধবার সকালেই ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে একডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। বর্তমানে দুই পক্ষই যুদ্ধের কিনার থেকে সরে গিয়েছে। ইরানি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, আমরা তাদের হত্যা করতে চাইনি। তিনি বিপ্লবী গার্ডসের এয়ারোস্পেস ফোর্সের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা যখন বাড়ছে, তখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারেন বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী উইলিয়াম কোহেন।
নাইজারে সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ সেনা নিহত
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৫ সৈন্য নিহত এবং আরও অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মালি সীমান্তের কাছে চিনাগোদরার এলাকার সেনাবাহিনীর একটি টহল চৌকিতে এ হামলা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের সন্দেহ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজনরা মোটর সাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনে চেপে টহল চৌকির দিকে অগ্রসর হতে থাকলে সেনা ও বিমানবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গোলাগুলিতে ৬৩ হামলাকারী নিহত হয়েছে বলেও সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছে তারা। গত মাসেও চিনাগোদরারের পশ্চিমে অন্য একটি টহল চৌকিতে জঙ্গি হামলায় ৭১ সেনা নিহত হয়েছিল।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৫ সৈন্য নিহত এবং আরও অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মালি সীমান্তের কাছে চিনাগোদরার এলাকার সেনাবাহিনীর একটি টহল চৌকিতে এ হামলা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের সন্দেহ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজনরা মোটর সাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনে চেপে টহল চৌকির দিকে অগ্রসর হতে থাকলে সেনা ও বিমানবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গোলাগুলিতে ৬৩ হামলাকারী নিহত হয়েছে বলেও সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।
ইরানি বিমান বিধ্বস্তে তদন্তে অংশ নেবে যুক্তরাষ্ট্র
তেহরানের বাইরে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তদন্তে যোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি)। টুইটারে পোস্ট করা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, বুধবারের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের কাছ থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত হয়েছে।  পরিবহন দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তের দায়িত্বরত সংস্থাটি আরও জানায়, এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সর্বজনস্বীকৃত একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়োগিত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে সবসময় নজর রাখছে তারা। এনটিএসবি জানায়, তদন্তে অংশগ্রহণের পর্যায়কে তারা মূল্যায়ন করছেন। আমরা যে তদন্তে জড়িত হয়, সেটি নিয়ে কোনো কল্পনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নিই না।  বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা অস্বীকার করেছে ইরান। এক বিবৃতিতে ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী রাবাই এমন কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এসব প্রতিবেদন ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। যেসব দেশের নাগরিক এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, তারা নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন। বিমানের ব্ল্যাক বক্স তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি। এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার কাছে বেশ কিছু গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য রয়েছে, যাতে এই আভাস দিচ্ছে যে তেহরান থেকে উড্ডয়নের পরেই ইউক্রেনের বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইরান। এতে বিমানটিতে থাকা ১৭৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৩ কানাডীয় নাগরিকও রয়েছেন।-খবর এএফপি ও রয়টার্সের তিনি এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন প্রকাশিত হওয়া একটি ভিডিওতে বিমানটিকে গুলি করার মুহূর্তটি দেখা গেছে। সেটিসহ সামাজিকমাধ্যমে অন্যান্য ভিডিওতে দেখা গেছে, বুধবার সকালে তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিপর্যয়কর ভুলে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের পিএস৭৫২ ফ্লাইট হামলার শিকার হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এই ভিডিওটির সত্যাসত্য যাচাই করেছে। ভিডিওতে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানির আগে দ্রুত চলাচলকারী একটি বস্তুকে কৌণিকভাবে উপরে উঠতে দেখা গেছে। সেটি অনুজ্জ্বল আলো ছড়াচ্ছিল এবং অব্যাহত সামনে ধাবিত হয়। কয়েক সেকেন্ড পরে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। সব মিত্রসহ কানাডার নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য উল্লেখ করে ট্রুডো বলেন, ইরানের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য(এসএএম) ক্ষেপণাস্ত্র ওই বিমানে আঘাত হেনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জানি, এটা সম্ভবত অনিচ্ছাকৃতই হবে। কানাডীয়দের প্রশ্ন রয়েছে, তারা তার জবাব আশা করতেই পারে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতৃবৃন্দও তাকে সমর্থন করেছেন। বরিস জনসন বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমর্থনে তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যেটা অনিচ্ছাকৃত হামলাই হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা মনে করেন, কিয়েভগামী বোয়িং ৭৩৭ একটি কিংবা দুটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের মুখোমুখি হয়েছে। পরে সেটি তেহরানের বাইরে বিস্ফোরিত হয়েছে। মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড বৃহস্পতিবার বলছে, বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের কাছ থেকে তারা অবগত হয়েছেন। কাজেই এই ঘটনার তদন্তে তারা একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। বিমান নির্মাতা বোয়িংকেও এই ঘটনার তদন্তে আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির বেসামরিক বিমান সংস্থা বলছে, উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরেই বিমানটি অন্ধকারে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলটের কাছ থেকে কোনো রেডিও বার্তা না পাওয়ায় এই বিপর্যয়ের আভাস দিয়েছে। বিমানটিতে ৮২ ইরানি, ৬৩ কানাডীয়, ১১ ইউক্রেনের, ১০ সুইডিস, চার আফগান, তিন জার্মানির ও তিন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইরাকি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ বিষয়টি প্রকাশ্য হতে শুরু করে।
তেহরানের বাইরে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তদন্তে যোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি)।
ক্ষেপণাস্ত্রের আগে মার্কিন বিমান-ড্রোন ব্যবস্থায় ইরানের সাইবার হামলা
ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দুই সামরিকঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছোড়ার আগে মার্কিন বিমান-ড্রোন ব্যবস্থায় ইরান সাইবার আক্রমণ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিপ্লবী বাহিনীর এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিজাদেহ।   বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক।   তিনি বলেন, ইরানের কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা ছিল এবং বুধবার তেহরান যখন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে, তখন আমেরিকার বিমান ও ড্রোন নেভিগেশন সিস্টেম অকেজো করার জন্য সাইবার আক্রমণ করা হয়েছিল।  ইরানি এ সিনিয়র কমান্ডার বলেন, মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আমেরিকার সৈন্যদের হত্যার উদ্দেশ নয়, তবে ওয়াশিংটনের সামরিক সরঞ্জামাদি ধ্বংসের জন্য পুরো অঞ্চলজুড়ে এ সিরিজ হামলা চালানো হয়। আমির আলী হাজিজাদেহ আরও বলেন, এ হামলার মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী দ্বারা ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার যথাযথ প্রতিশোধ নেয়া হলো।  ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিকঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে বুধবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো সৈন্য মারা যায়নি। তবে ওই হামলায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দুই সামরিকঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছোড়ার আগে মার্কিন বিমান-ড্রোন ব্যবস্থায় ইরান সাইবার আক্রমণ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিপ্লবী বাহিনীর এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলীহাজিজাদেহ।
ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত হয়নি বিমান, তদন্তের আহ্বান ইরানের
তেহরানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা অস্বীকার করেছে ইরান। এক বিবৃতিতে ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী রাবাই এমন কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এসব প্রতিবেদন ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। যেসব দেশের নাগরিক এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, তারা নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন। বিমানের ব্ল্যাক বক্স তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি। এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার কাছে বেশ কিছু গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য রয়েছে, যাতে এই আভাস দিচ্ছে যে তেহরান থেকে উড্ডয়নের পরেই ইউক্রেনের বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইরান। এতে বিমানটিতে থাকা ১৭৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৩ কানাডীয় নাগরিকও রয়েছেন।-খবর এএফপি ও রয়টার্সের তিনি এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন প্রকাশিত হওয়া একটি ভিডিওতে বিমানটিকে গুলি করার মুহূর্তটি দেখা গেছে। সেটিসহ সামাজিকমাধ্যমে অন্যান্য ভিডিওতে দেখা গেছে, বুধবার সকালে তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিপর্যয়কর ভুলে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের পিএস৭৫২ ফ্লাইট হামলার শিকার হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এই ভিডিওটির সত্যাসত্য যাচাই করেছে। ভিডিওতে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানির আগে দ্রুত চলাচলকারী একটি বস্তুকে কৌণিকভাবে উপরে উঠতে দেখা গেছে। সেটি অনুজ্জ্বল আলো ছড়াচ্ছিল এবং অব্যাহত সামনে ধাবিত হয়। কয়েক সেকেন্ড পরে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। সব মিত্রসহ কানাডার নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য উল্লেখ করে ট্রুডো বলেন, ইরানের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য(এসএএম) ক্ষেপণাস্ত্র ওই বিমানে আঘাত হেনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জানি, এটা সম্ভবত অনিচ্ছাকৃতই হবে। কানাডীয়দের প্রশ্ন রয়েছে, তারা তার জবাব আশা করতেই পারে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতৃবৃন্দও তাকে সমর্থন করেছেন। বরিস জনসন বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমর্থনে তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যেটা অনিচ্ছাকৃত হামলাই হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা মনে করেন, কিয়েভগামী বোয়িং ৭৩৭ একটি কিংবা দুটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের মুখোমুখি হয়েছে। পরে সেটি তেহরানের বাইরে বিস্ফোরিত হয়েছে। মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড বৃহস্পতিবার বলছে, বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের কাছ থেকে তারা অবগত হয়েছেন। কাজেই এই ঘটনার তদন্তে তারা একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। বিমান নির্মাতা বোয়িংকেও এই ঘটনার তদন্তে আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির বেসামরিক বিমান সংস্থা বলছে, উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরেই বিমানটি অন্ধকারে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলটের কাছ থেকে কোনো রেডিও বার্তা না পাওয়ায় এই বিপর্যয়ের আভাস দিয়েছে। বিমানটিতে ৮২ ইরানি, ৬৩ কানাডীয়, ১১ ইউক্রেনের, ১০ সুইডিস, চার আফগান, তিন জার্মানির ও তিন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইরাকি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ বিষয়টি প্রকাশ্য হতে শুরু করে।
তেহরানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা অস্বীকার করেছে ইরান।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রেই ইউক্রেনগামী বিমানটি বিধ্বস্ত: ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার কাছে বেশ কিছু গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য রয়েছে, যাতে এই আভাস দিচ্ছে যে তেহরান থেকে উড্ডয়নের পরেই ইউক্রেনের বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইরান। এতে বিমানটিতে থাকা ১৭৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৩ কানাডীয় নাগরিকও রয়েছেন।-খবর এএফপির তিনি এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন প্রকাশিত হওয়া একটি ভিডিওতে বিমানটিকে গুলি করার মুহূর্তটি দেখা গেছে। সেটিসহ সামাজিকমাধ্যমে অন্যান্য ভিডিওতে দেখা গেছে, বুধবার সকালে তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিপর্যয়কর ভুলে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের পিএস৭৫২ ফ্লাইট হামলার শিকার হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এই ভিডিওটির সত্যাসত্য যাচাই করেছে। ভিডিওতে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানির আগে দ্রুত চলাচলকারী একটি বস্তুকে কৌণিকভাবে উপরে উঠতে দেখা গেছে। সেটি অনুজ্জ্বল আলো ছড়াচ্ছিল এবং অব্যাহত সামনে ধাবিত হয়। কয়েক সেকেন্ড পরে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। সব মিত্রসহ কানাডার নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য উল্লেখ করে ট্রুডো বলেন, ইরানের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য(এসএএম) ক্ষেপণাস্ত্র ওই বিমানে আঘাত হেনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জানি, এটা সম্ভবত অনিচ্ছাকৃতই হবে। কানাডীয়দের প্রশ্ন রয়েছে, তারা তার জবাব আশা করতেই পারে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতৃবৃন্দও তাকে সমর্থন করেছেন। বরিস জনসন বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমর্থনে তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যেটা অনিচ্ছাকৃত হামলাই হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা মনে করেন, কিয়েভগামী বোয়িং ৭৩৭ একটি কিংবা দুটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের মুখোমুখি হয়েছে। পরে সেটি তেহরানের বাইরে বিস্ফোরিত হয়েছে। মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড বৃহস্পতিবার বলছে, বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের কাছ থেকে তারা অবগত হয়েছেন। কাজেই এই ঘটনার তদন্তে তারা একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। বিমান নির্মাতা বোয়িংকেও এই ঘটনার তদন্তে আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির বেসামরিক বিমান সংস্থা বলছে, উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরেই বিমানটি অন্ধকারে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলটের কাছ থেকে কোনো রেডিও বার্তা না পাওয়ায় এই বিপর্যয়ের আভাস দিয়েছে। বিমানটিতে ৮২ ইরানি, ৬৩ কানাডীয়, ১১ ইউক্রেনের, ১০ সুইডিস, চার আফগান, তিন জার্মানির ও তিন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইরাকি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ বিষয়টি প্রকাশ্য হতে শুরু করে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার কাছে বেশ কিছু গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য রয়েছে, যাতে এই আভাস দিচ্ছে যে তেহরান থেকে উড্ডয়নের পরেই ইউক্রেনের বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইরান। এতে বিমানটিতে থাকা ১৭৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৩ কানাডীয় নাগরিকও রয়েছেন।-খবর এএফপির
ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ: ট্রাম্পের ক্ষমতা হ্রাসে কংগ্রেসে প্রস্তাব পাস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিতে না পারেন সেজন্য তার যুদ্ধ ক্ষমতা কমাতে ভোট দিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যরা। এমন এক সময় এমন ঘটনা ঘটেছে, যখন ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যার পর ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে তেহরান। ট্রাম্পের যুদ্ধ-ক্ষমতা কমানোর বৃহস্পতিবারের এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২২৪ সদস্য, বিপক্ষে পড়েছে ১৯৪টি। ডেমোক্র্যাটিক নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা এই ভোটের বিরোধিতা করেছেন। কংগ্রেসের সম্মতি ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহারের ক্ষমতার অবসান ঘটাতে এই পদক্ষেপে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন এই প্রস্তাব রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে উঠবে, যাতে এক কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পদক্ষেপটি রিপাবলিকান অধ্যুষিত সিনেটে পাস হওয়া দুরূহ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রিপাবলিকনরা বেশিরভাগই সোলাইমানিকে হত্যার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। কংগ্রেসের অনুমোদন না পেলে ট্রাম্পকে ইরানের বিরুদ্ধে সব ধরনের সামরিক ব্যবস্থা বন্ধ রাখতে হবে-এমন একটি পদক্ষেপ নিতেই ভোট দিয়েছে প্রতিনিধি পরিষদ। ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে ট্রাম্প এরই মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের সুরে কথা বললেও কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা সোলাইমানির ওপর হামলা এবং এর পেছনে ট্রাম্প প্রশাসন যে যুক্তি দেখিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয়। সেকারণেই তারা এখন ট্রাম্পের যুদ্ধ-ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করছে। ট্রাম্পের নির্দেশেই ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় সোলাইমানি নিহত হয়েছিলেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন সোলাইমানিকে হত্যা করে আমাদের সেনা সদস্য, কূটনীতিক এবং অন্যান্যদেরকে বিপদে ফেলেছেন এবং ইরানের সঙ্গে মারাত্মক উত্তেজনার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছেন। পেলোসি আরো বলেন, প্রেসিডেন্টের কৌশল নিয়ে কংগ্রেসের কিছু সদস্য উদ্বিগ্ন। আর ‘ওয়ার পাওয়ারস অ্যাক্ট’ এর আওতায় প্রশাসন হামলার ব্যাপারে কংগ্রেসকে ঠিকমত কিছু অবহিতও করেনি। ফলে ওয়ার পাওয়ারস প্রস্তাবনা নিয়ে ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়ে পেলোসি বলেন, পরবর্তী আর কোনো সহিংসতা এড়াতে অবিলম্বে একটি কার্যকর এবং উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল নিয়ে এগুনোর জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিতে না পারেন সেজন্য তার যুদ্ধ ক্ষমতা কমাতে ভোট দিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যরা।
ইরানে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিমানের ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের রাজধানী তেহরানে গত বুধবার সকালে ১৭৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আগুন ধরে বিষ্ফোরিত হয় বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে তাদের ওই দাবির পক্ষে যুক্তি দাঁড় করেছে। ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে কোন একটা বস্তুর আঘাতে বিমানটিতে আগুন ধরে যেতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরই প্রচণ্ড শব্দে এটি বিষ্ফোরিত হয়। পত্রিকাটির সংবাদে বলা হয়, তেহরান বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ণের পরই এতে কিছু একটা আঘাত হানে। এতে বিমানটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ওই অবস্থায় পাইলট বিমানটিকে আবার তেহরানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েক মিনিট পরই এটি বিষ্ফোরিত হয়ে সব যাত্রী ও ক্রু নিহত হন। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে তারা ওই ভিডিওটি মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে সংগ্রহ করেছে। বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরই ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এদের মধ্যে ১৬৭ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্রু ছিলেন। ইরানের জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র মুজতবা খালেদি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইরানের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রথমে এতে মোট ১৮০ আরোহী ছিলেন বলে বিমান সংস্থাটি দাবি করলেও পরে এর আরোহী সংখ্যা ১৭৬ বলে নিশ্চিত করে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে ইরানের বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল বিমানটি। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই এটি বিধ্বস্ত হয়ে এর সব আরোহী নিহত হন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ইরানের এই শীর্ষ জেনারেলের গুপ্তহত্যায় ফুঁসে উঠেছে দেশটির জনগণ। গোটা মধ্যপ্রাচ্য এখন টালমাটাল। এই হত্যার বদলা নেয়ার শপথ নিয়েছে ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ।
ইরানের রাজধানী তেহরানে গত বুধবার সকালে ১৭৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আগুন ধরে বিষ্ফোরিত হয় বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মা প্রিন্সেস ডায়ানার পথে হাঁটলেন হ্যারি
মা প্রিন্সেস ডায়ানার পথেই পা বাড়ালেন ব্রিটিশ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি। রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার পত্নী ডাচেস মেগান মার্কেল। রাজপরিবারের বাঁধাধরা নিয়মে খাপ খাওয়াতে না পেরে সাধারণদের মতো স্বাধীন চলাফেরা করতেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তারা বছরের কিছুটা সময় যুক্তরাজ্যে এবং বাকিটা উত্তর আমেরিকায় কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। ডায়ানাও প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে ১৯৯৩ সালে রাজকীয় দায়িত্ব কমিয়ে নিজের মতো জীবন কাটানোর সিদ্ধন্ত নিয়েছিলেন। বিবিসি বলছে, হ্যারি ও মেগান এই সিদ্ধন্ত জানানোর আগে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বা প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। হঠাৎ এ সিদ্ধনে্ত রীতিমতো হতভম্ব বাকিংহাম প্যালেস। আহত হয়েছেন রাজপরিবারের অন্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও। ইউরোপ থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট টানাপোড়নের মধ্যেই খোদ রাজপরিবারেই এ ভাঙনের মুখরোচক খবরে রং-তামাশা শুরু হয়েছে গোটা পশ্চিমা বিশ্বে। মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক পোস্ট ব্যঙ্গ করে এ ঘটনাকে 'মেক্সিট' (মেগান+এক্সিট) অ্যাখ্যা দিয়েছে। ইতালির রিপাবলিকা বলছে, রাজপরিবার থেকে ডিভোর্স চাইছেন মেগান-হ্যারি। হ্যারি (৩৮) ও মেগান (৩৫) গত অক্টোবরে বলেছিলেন, রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে সারাক্ষণ গণমাধ্যমের নজরে থাকতে হয় বলে ব্যক্তিগত জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার তিন মাসের মাথায় তারা নিজেদের ইনস্টাগ্রাম পাতায় রাজপরিবার ছাড়ার ঘোষণা দিলেন। বিবৃতিতে হ্যারি ও মেগান বলেছেন, 'রানী, কমনওয়েলথ ও অভিভাবকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে পূর্ণ সম্মান রেখেই তারা তাদের সময় যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে ভাগ করে নিতে চান। সন্তান আর্চির বেড়ে ওঠার পাশাপাশি নতুন একটি দাতব্য সংস্থা খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে 'এই ভৌগলিক ভারসাম্য' সহায়ক হবে বলে যুক্তি দিয়েছেন তারা। হ্যারি-মেগানের ওই ঘোষণা বাকিংহাম প্রসাদকে বেশ বড় ধাক্কাই দিয়েছে। রাজপরিবার তাদের সিদ্ধান্তের কারণে যতটা না আহত হয়েছে, তার চেয়ে বেশি আহত হয়েছে তারা যেভাবে আলোচনা না করে ওই ঘোষণা দিয়েছেন- তা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অভিনেত্রী মেগান তার কাজের সূত্রে এক সময় টরন্টোতে কাটিয়েছেন। সেখানে তার বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবও আছে। আর রাজপরিবারের জীবনে অনেক কিছুর সঙ্গেই তারা মানিয়ে নিতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, তিনি বোবা পুতুলটি হয়ে থাকতে চান না। কিন্তু যখনই উচ্চকণ্ঠ করেছেন, তাকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। এছাড়া প্রিন্সেস কেট মিডলটনের সঙ্গে ঝগড়ার খবরও সামনে এসেছে। এর আগে ১৯৩৬ সালে রাজা অষ্টম অ্যাডওয়ার্ড তো মার্কিন নারী ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য সিংহাসনই ত্যাগ করেছিলেন। হ্যারির চাচা প্রিন্স অ্যান্ড্রু গত বছর শেষ দিকে এপস্টেইন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আর অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারাও তাদের বিচ্ছেদের পর রাজকীয় দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন।
মা প্রিন্সেস ডায়ানার পথেই পা বাড়ালেন ব্রিটিশ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি।
চীনে ছড়িয়ে পড়ছে রহস্যজনক নিউমোনিয়া
চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশে নতুন এক রহস্যজনক নিউমোনিয়া জাতীয় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। রহস্যজনক এই ভাইরাসের সঙ্গে প্রাণঘাতী রোগ সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মিল রয়েছে। এ  নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দেশটির নাগরিকরা । কবর সিএনএন ,গার্ডিয়ানের। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৫৭ জন রোগীর মধ্যে ১৭ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছেন। হুবেই প্রদেশের উহানে এসব রোগী হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। নতুন ভাইরাসের বিস্তারের জন্য প্যাথোজেনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। সিসিটিভি বলছে, উহানে শনাক্ত নিউমোনিয়া জাতীয় নতুন করোনাভাইরাসটি সার্স কিংবা মার্স ভাইরাসের মতো নয়। নতুন এই ভাইরাসের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। তবে বেশ কয়েকজন রোগী শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ৮ জনকে বুধবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও প্রাণহানি এখনও ঘটেনি। উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয় গত ১২ ডিসেম্বর। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ৫৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু কিছু পর্যায়ে আক্রান্তদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। উহানের স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, নতুন এই সংক্রমণের কারণ খোঁজার চষ্টো করছে তারা। স্বাস্থ্য বিভাগটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সংক্রমণের বেশ কয়েকটি উত্স, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের সংশি্লষ্টতা নেই। সিএনএন বলছে, ১৮ বছর আগে চীনে সার্স ভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করেছিল। ২০০২-০৩ সালের ওই মহামারিতে বিশ্বের ৩৭টি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। শুধু চীনেই ৩৪৯ এবং হংকংয়ে ২৯৯ জন মারা যান।
চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশে নতুন এক রহস্যজনক নিউমোনিয়া জাতীয় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
কুমিল্লাকে বিদায় করে সুপার ফোরে মুশফিকের খুলনা
সমীকরণ আগেই স্পষ্ট ছিল। জিতলেই প্লে-অফের খেলা নিশ্চিত হবে খুলনার। আর হেরে গেলে পরের খেলা হবে তাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। তবে গ্রুপ পর্বের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগেই এক ম্যাচ হাতে রেখে বিপিএল সুপার ফোরের খেলা নিশ্চিত করল মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগার্স। শুক্রবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ৯২ রানে হারিয়ে ১১ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে বিপিএল সপ্তম আসরের সুপার ফোরের খেলা নিশ্চিত করে খুলনা। এর আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ঢাকা প্লাটুন ও রাজশাহী রয়েলস প্লে-অফের খেলা নিশ্চিত করে।  মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ২ উইকেটে ২১৮ রানের পাহাড় গড়ে খুলনা। দলের হয়ে অপরাজিত ৯৮ রান করেন মুশফিক। ৫৭ বলে খেলা তার ইনিংসটি ছিল ১২টি চার ও তিন ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ৪৫ বলে ৫টি চার ও তিন ছক্কায় ৭৪ রান করে রিটায়ার্ডহার্ট হয়ে ফেরেন ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫.৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় কুমিল্লা। খুলনার হয়ে শহিদুল ইসলাম নেন ৩ উইকেট আর দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ আমির ও আমিনুল ইসলাম।
সমীকরণ আগেই স্পষ্ট ছিল।জিতলেই প্লে-অফের খেলা নিশ্চিত হবে খুলনার। আর হেরে গেলে পরের খেলা হবে তাদের জন্যবাঁচা-মরার লড়াই। তবে গ্রুপ পর্বেরবাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগেই এক ম্যাচ হাতে রেখে বিপিএল সুপার ফোরের খেলা নিশ্চিত করল মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগার্স।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ভারত
শ্রীলংকাকে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ট্রফি জিতে নিল স্বাগতিক ভারত।শুক্রবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ভারত ২০১ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ৭৮ রানের বড় জয় পায় বিরাট কোহলিরা। সিরিজের প্রথ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। শুক্রবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ৯৭ রান করা ভারত, পরের ৬৭ রানের ব্যবধানে হারায় ৬ উইকেট। ইনিংসের শেষ দিকে অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর শার্দুল ঠাকুরের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৬ উইকেটে ২০১ রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিক ভারত। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় সফরকাী শ্রীলংকা। তবে পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এই জুটিতে তারা গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৮ রান তুলে নেয় শ্রীলংকা। জয়ের জন্য শেষ ৫৪ বলে শ্রীলংকার প্রয়োজন ১১৪ রান। ১২তম ওভারের প্রথম বলেই ওয়াশিংটন সুন্দরকে ছক্কা হাঁকান ম্যাথিউস। ঠিক পরের বলে ফের বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন। ২০ বলে তিন ছক্কা আর এক চারের সাহায্যে ৩১ রান করে ফেরেন ম্যাথিউস। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি দাসুন শানাকা ও হাসারাঙ্গা। ৯ রানে ফেরেন সানাকা আর সানাকা। শূন্য রানে রান আউট হাসারঙ্গা। মালিঙ্গা ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নিয়ে ফেরেন ধনাঞ্জয়া। তার আগে দলের হয়ে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন তিনি। ১৫.৫ ওভারে ১২৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নভদীপ সাইনি, এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর ও ওয়াশিংটন সুন্দর। প্রসঙ্গত, সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
শ্রীলংকাকে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ট্রফি জিতে নিল স্বাগতিক ভারত।শুক্রবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ভারত ২০১ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ৭৮ রানের বড় জয় পায় বিরাট কোহলিরা। সিরিজের প্রথ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
ভারত জয় করতে শ্রীলংকার প্রয়োজন ২০২ রান
বিরাট কোহলিদের হারাতে হলে শ্রীলংকার প্রয়োজন ২০২ রান। ভারতের মাঠে ভারতকে হারাতে হলে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ব্যাটিং করতে হবে লাসিথ মালিঙ্গার নেতৃত্বাধী শ্রীলংকাকে।  শুক্রবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ৯৭ রান করা ভারত, পরের ৬৭ রানের ব্যবধানে হারায় ৬ উইকেট। ইনিংসের শেষ দিকে অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর শার্দুল ঠাকুরের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৬ উইকেটে ২০১ রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিক ভারত।  টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় সফরকাী শ্রীলংকা। তবে পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এই জুটিতে তারা গড়েন ৬৮ রানের জুটি।  ১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৮ রান তুলে নেয় শ্রীলংকা। জয়ের জন্য শেষ ৫৪ বলে শ্রীলংকার প্রয়োজন ১১৪ রান। ১২তম ওভারের প্রথম বলেই ওয়াশিংটন সুন্দরকে ছক্কা হাঁকান ম্যাথিউস। ঠিক পরের বলে ফের বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন। ২০ বলে তিন ছক্কা আর এক চারের সাহায্যে ৩১ রান করে ফেরেন ম্যাথিউস। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি দাসুন শানাকা ও হাসারাঙ্গা। ৯ রানে ফেরেন সানাকা আর সানাকা। শূন্য রানে রান আউট হাসারঙ্গা।  প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলাটি পরিত্যক্ত। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ১-০তে এগিয়ে রয়েছে ভারত। আজ জিতলে ২-০ ব্যবধানে ট্রফি নিশ্চিত হবে বিরাট কোহলিদের।
বিরাট কোহলিদের হারাতে হলে শ্রীলংকার প্রয়োজন ২০২ রান। ভারতের মাঠে ভারতকে হারাতে হলে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ব্যাটিং করতে হবে লাসিথ মালিঙ্গার নেতৃত্বাধী শ্রীলংকাকে।
নিজের ভুলেই সেঞ্চুরি মিস করেছেন মুশফিক?
মুশফিকুর রহিম কি চান না বিপিএল ক্যারিয়ারে তার একটি সেঞ্চুরি থাকুক? যদি চেয়েই  থাকেন তাহলে কেন সেঞ্চুরি করেন না? সেঞ্চুরি করার ক্ষিধে হয়তো তার মধ্যে নেই। যদি থাকতই তাহলে সুযোগ পেয়েও কেন তা হাতছাড়া করেন। রাগে ও ক্ষোভে এমন প্রশ্ন তুলেছেন গ্যালারিতে থাকা এক দর্শক। যুগান্তরকে ফোন করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। তার মতো অগণিত মুশফিক ভক্তের মনেও সেঞ্চুরির আক্ষেপ। মাত্র দুই রানের জন্য বিপিএলে সেঞ্চুরি হয়নি মুশফিকের।  শুক্রবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে নিজেদের ইনিংসের ১৯তম ওভারেই ২ উইকেটে ২০৯ রানের পাহাড় গড়ে খুলনা। সেঞ্চুরি জন্য মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। ৬ বলে ৮ রান করা মুশফিকের জন্য আহামরি কিছু ছিল না। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করায় মুশফিকদের সামনে ছিল না কোনো রানের টার্গেটও। দলের স্কোর বিশাল হওয়ায় সবাই চেয়েছিল মুশফিকের সেঞ্চুরিটা যেন হয়! সৌম্য সরকারের করা প্রথম বলে ডট খেলেন, ঠিক পরের বলে হাঁকান চার। সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। ওভারের তৃতীয় বলে মুশফিক সিঙ্গেল নিয়ে নতুন ব্যাটসম্যান নজিবুল্লাহ জাদরানকে স্ট্রাইক দেন। বাংলাদেশের সেরা এ ব্যাটসম্যানের এ সিঙ্গেল নিয়েই আক্ষেপ করেছেন তার ভক্তরা।  ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, ওই সময় মুশফিকের উচিত ছিল স্ট্রাইকে থেকে সেঞ্চুরির জন্য ট্রাই করা। তার কারণ জয়ের জন্য যে রান প্রয়োজন তা আগেই স্কোর বোর্ডে জমা করেছে খুলনা। সেঞ্চুরির জন্য চেষ্টা না করে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক বদল করে ভুলই করেছেন মুশফিক। আর সেই ভুলের মাশুল তাকেই দিত হয়েছে।  ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরির জন্য মুশফিকের প্রয়োজন ছিল তিন রান। হাঁকাতে হতো চার। কিন্তু সিঙ্গেল রানের বেশি নিতে পারেননি মুশফিক। ৯৮ রানেই থেমে যান তিনি।  বিপিএল চলতি আসরে এনিয়ে দুইবার সেঞ্চুরির সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করেন মুশফিক। এর আগে বিপিএল চলতি আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী রয়েলসের বিপক্ষে ৯৬ রানে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ৪ রান। সেঞ্চুরির জন্য মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। রবি বোপারার করা প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক বদল করেন মুশফিক। সে সময় তিনি স্ট্রাইক বদল না করে পরের বলে বাউন্ডারির জন্য খেললেই হতো। কিন্তু ওভারের তৃতীয় বলে চার হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
মুশফিকুর রহিম কি চান না বিপিএল ক্যারিয়ারে তার একটি সেঞ্চুরি থাকুক? যদি চেয়েই থাকেন তাহলে কেন সেঞ্চুরি করেন না? সেঞ্চুরি করার ক্ষিধে হয়তো তার মধ্যে নেই। যদি থাকতই তাহলে সুযোগ পেয়েও কেন তা হাতছাড়া করেন।
মুশফিক-মিরাজের ব্যাটে খুলনার রানের পাহাড়
জিতলেই প্লে-অফের খেলা নিশ্চিত। এমন সমীকরণের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বিপিএল ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করেছেন জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিক। এনিয়ে চলীত আসরেই দুইবার সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন খুলনা টাইগার্সের এ অধিনায়ক। ৫৭ বলে ১২টি চার ও তিন ছক্কায় অপরাজিত ৯৮ রান করেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে চলতি বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী রয়েলসের বিপক্ষে ৯৬ রানে আউট হন মুশফিক।  শুক্রবার ইনিংসের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেয়া মিরাজ একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া মিরাজ রিটায়ার্ডহার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে খেলেন ৪৫ বলে পাঁচটি চার ৩ ছক্কায় ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। মুশফিক-মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২ উইকেটে ২১৮ রানের পাহাড় গড়েছে খুলনা টাইগার্স।  শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় খুলনা। দলীয় ২ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি খুলনার দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। দলীয় ৩৩ রানে ফেরেন তিনি।  এরপর তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ১৬৮ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের এই জুটিতেই বড় সংগ্রহের পুঁজি পায় খুলনা। দলীয় ২০১ রানে ফেরেন মিরাজ। এরপর নজিবুল্লাহ জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন মুশফিক।
জিতলেই প্লে-অফের খেলা নিশ্চিত। এমন সমীকরণের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বিপিএলক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করেছেন জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিক।
ঘরের মাঠে ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডব
ঘরের মাঠে ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডব। শ্রীলংকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেছেন শেখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল।  শুক্রবার পুনেতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভারে ১০.২০ গড়ে ৫২ রান সংগ্রহ করেছেন রাহুল ও ধাওয়ান। পরের ৫ ওভার তারা যোগ করেন ৪০ রান। ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান তুলে নেয় ভারত। ৩৪ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ফিফটি তুলে নেয়া ধাওয়ান সাজঘরে ফেরেন ৫২ রানে। তার আগে উদ্বোধনীতে রাহুলের সঙ্গে গড়েন ১০.৫ ওভারে ৯৭ রানের জুটি।  চার বছর পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাঞ্জু স্যামসন। ব্যাটিংয়ে নেমে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট হয়ে ফেরেন টিম ইন্ডিয়ার এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।  দলীয় ১১৮  রানে ফেরেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। ৩৬ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি। মাত্র ৪ রানে ফেরেন স্রেয়াশ আয়ার। বিনা উইকেটে ৯৭ রান করা ভারত পরের ২৫ রানের ব্যবধানে হারায় ৪ উইকেট।
ঘরের মাঠে ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডব। শ্রীলংকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়েনেমে রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেছেন শেখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল।
‘যদির’ ওপর নির্ভর করে কুমিল্লার ভাগ্য
বিপিএল সপ্তম আসরের প্লে অফের সমীকরণ প্রায় স্পষ্ট। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ঢাকা প্লাটুন ও রাজশাহী রয়েলস ১১ খেলায় যথাক্রমে ১৬ ও ১৪ পয়েন্ট করে নিয়ে আগেই সুপার ফোরের খেলা নিশ্চিত করেছে। সুপার ফোরের পথেই রয়েছে ১০ খেলায় ১২ পয়েন্ট অর্জন করা মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগার্স।  আজ যদি খুলনা টাইগার্স কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে জিতে যায় তাহলে তাদের সুপার ফোরের খেলা নিশ্চিত হবে। বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সে। তবে আজ খুলনা যদি কুমিল্লার বিপক্ষে হেরে যায় তাহলে ১১ ম্যাচে খুলনার পয়েন্ট সেই ১২-ই থাকবে। অন্যদিকে কুমিল্লা যদি গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ জয় পায় তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ১২ খেলায় ১২। এমনটি হলে তাদের সামনে একটা সুযোগ থাকবে। নিজেদের শেষ খেলায় খুলনা যদি ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে হেরে যায় তাহলে খুলনা ও কুমিল্লার পয়েন্ট সমান ১২ হবে। সেই হিসেবে হেড ডু হেড অথবা রান রেটে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই প্লে অফে খেলার সুযোগ পাবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করছে খুলনা টাইগার্স। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খুলনার সংগ্রহ ৯ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান।
বিপিএল সপ্তম আসরের প্লে অফের সমীকরণ প্রায় স্পষ্ট। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স,ঢাকা প্লাটুন ও রাজশাহী রয়েলস ১১ খেলায় যথাক্রমে ১৬ ও১৪ পয়েন্ট করে নিয়েআগেই সুপার ফোরের খেলা নিশ্চিত করেছে। সুপার ফোরের পথেই রয়েছে ১০ খেলায় ১২ পয়েন্ট অর্জন করা মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগার্স।
জয় দিয়ে বিপিএল শেষ করল রংপুর
লক্ষ্যটা বড় ছিল না। তবু সেই রানটিই তুলতে পারল না ঢাকা প্লাটুন। বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখালো দলটি। শেষ অবধি ১৩৮ রান তুলতে সামর্থ্য হলো তারা। এতে ১১ রানের জয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করল রংপুর রেঞ্জার্স। ১২ ম্যাচ খেলে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর থেকে বিদায় নিল তারা। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ৭ জয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। ইতিমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তারা।  জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভূমিকাতেই হোঁচট খায় ঢাকা। রানআউটে কাটা পড়েন আনামুল হক। পরে মেহেদী হাসানকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হতেই পথচ্যুত হয় দলটি। ব্যক্তিগত ২০ রান করা মেহেদীকে তুলে নিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন সানি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তামিম। একই বোলারের শিকার হয়ে ৩৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি।  এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং অর্ডার। তাসকিন আহমেদের বলে ফেরত আসেন মুমিনুল হক ও আসিফ আলি।  অল্প বিরতিতে শাদাব ও ফাহিম আশরাফকে ফিনিশ করেন জুনায়েদ খান। আর আরিফুল হককে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান মোস্তাফিজুর রহমান। এদের আগে পেরেরাকে কাটেন গ্রেগরি। মূলত সেখানেই ম্যাচ হেরে যায় রাজধানীর দলটি। শেষদিকে চেষ্টা করেন মাশরাফি। তবে সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ১২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। রংপুরের হয়ে তাসকিন, জুনায়েদ, সানি নেন ২টি করে উইকেট।    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন ঢাকা প্লাটুন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফলে আগে ব্যাটিং করতে নামে শেন ওয়াটসনের রংপুর রেঞ্জার্স। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফির শিকার হন ওয়াটসন। তার পর মেহেদী হাসানের বলে ক্যামেরন ডেলপোর্ট দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে দলটি। পরে লুইস গ্রেগরিকে নিয়ে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন নাঈম শেখ। তবে সফল হতে পারেননি তিনি। শাদাব খানের বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। এরপর আল-আমিনকে দলের হাল ধরেন গ্রেগরি। ধীরে ধীরে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তারা। ক্রিজে সেটও হয়ে যান এ জুটি। তবে রানের গতি মন্থর ছিল। সেটা বাড়াতে গিয়ে থিসারা পেরেরার বলির পাঁঠা হন গ্রেগরি। ফেরার আগে ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত তার লড়াইয়ে মাঝারি পুঁজি গড়ার ভিত পায় রংপুর। পরে সেটার ওপর দাঁড়িয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন আল-আমিন। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে ভালো সমর্থনও পান তিনি। তাতে ঘুরে দলের রানের চাকা। কিন্তু হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যান আল-আমিন। শাদাব খানের বলে বিদায় নেন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন এ মিডলঅর্ডার। জোট ভাঙার পর তৎক্ষণাৎ ফেরেন জহুরুল। থিসারা পেরেরার বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। পরে আর কেউ ঝড় তুলতে পারেননি। উল্টো পেরেরার বোলিং তোপে পড়ে রংপুর। সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তাসকিন আহমেদ। এতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান পেরেরা। তবে বাস্তবে রূপদান করতে পারেননি তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ও আরাফাত সানি রানআউটে কাটা পড়েন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে উত্তরবঙ্গের দলটি। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেরেরা। আর ২ উইকেট নেন শাদাব।
লক্ষ্যটা বড় ছিল না। তবু সেই রানটিই তুলতে পারল না ঢাকা প্লাটুন। বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখালো দলটি। শেষ অবধি১৩৮ রান তুলতে সামর্থ্য হলো তারা। এতে ১১ রানের জয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করল রংপুর রেঞ্জার্স। ১২ ম্যাচ খেলে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর থেকে বিদায় নিল তারা। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ৭ জয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। ইতিমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তারা।
‘সেরা ৬ দল খেলুক ৫ দিনের টেস্ট, বাকিরা ৪ দিনের’
৪ দিন না ৫ দিন? এ প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। ২০২৩ সাল থেকে ২০৩১ চক্রে এফটিপিতে ৫ দিনের বদলে ৪ দিনের টেস্টের কথা ভাবছে আইসিসি। এরপর থেকেই ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে সংস্কারের প্রশ্নটা উঠছে। অবশ্য সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশিরভাগ রথী-মহারথীই ৪ দিনের টেস্টের বিপক্ষে। কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি,রিকি পন্টিং, ইয়ান বোথাম, গ্লেন ম্যাকগ্রারা এর ঘোরবিরোধী। তারা ৫ দিনের টেস্টই বাঁচিয়ে রাখতে চান। সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরো কিছু বড় নাম। শ্রীলংকা কোচ ও আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সদস্য মিকি আর্থার ৫ দিনের টেস্টের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন। কমিটির আরেক সদস্য মাহেলা জয়াবর্ধনেও ৪ দিনের টেস্টের বিপক্ষে। টেস্টের পুরনো কাঠামো টিকিয়ে রাখার পক্ষে ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীও। তিনি বলেন, ৪ দিনের টেস্ট নিরর্থক। দরকারে সংক্ষিপ্ত ওভারের টেস্ট খেলতে পারি আমরা। ৫ দিনের টেস্টের দৈর্ঘ্য নিয়ে নাড়াচাড়া করার কোনো প্রয়োজন নেই। আইসিসিকে একটি পরামর্শও দিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, যদি ৪ দিনের করতেই হয়, তাহলে শীর্ষ ৬ দল ৫ দিনের টেস্ট খেলুক। পরের ৬ দল খেলুক ৪ দিনের টেস্ট। টেস্ট টিকিয়ে রাখতে চাইলে সেরা ৬ দলকে একে-অপরের সঙ্গে বেশি খেলতে দেয়া হোক। ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করতে সংক্ষিপ্ত সংস্করণ তো আছেই। যদিও শেন ওয়ার্ন, মাইকেল ভন, মার্ক টেলরের মতো কিংবদন্তিরা ৪ দিনের টেস্টে সমর্থন দিয়েছেন। এরই মধ্যে ৪ দিনের টেস্ট নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া।
৪ দিন না ৫ দিন? এ প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। ২০২৩ সাল থেকে ২০৩১ চক্রে এফটিপিতে ৫ দিনের বদলে ৪ দিনের টেস্টের কথা ভাবছে আইসিসি। এরপর থেকেই ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে সংস্কারের প্রশ্নটা উঠছে।
বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান পাকিস্তান: গেইল
সন্ত্রাসবাদের জেরে দীর্ঘদিন ধরে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান। এক দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে সেখানে ফিরেছে মূলধারার ক্রিকেট। সেই দেশটিকেই বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। তার দাবি, বর্তমানে পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলা অনেক সহজ। ইমরান খানের দেশে ক্রিকেটারদের রাষ্ট্রপতি পদমর্যাদার নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। ২০০৯ সালে লাহোরে সফররত শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের বাস লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে জঙ্গিরা। ওই ঘটনার পর পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসনে যায়। এসময়ে সেখানে ক্রিকেট খেলতে যায়নি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো। অবশেষে ২০১৯ সালে পাকিস্তানে ফের গড়িয়েছে ক্রিকেট। সন্ত্রাস কবলিত দেশটিতে ক্রিকেট খেলতে যায় সেই শ্রীলংকা। সেখানে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডের পর টেস্ট খেলে এসেছে লংকানরা। নির্বিঘ্নে সেই সিরিজগুলো আয়োজন করার পর রীতিমতো হুংকার ছুড়েছে পাক ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেললে তাদের মাটিতে এসে খেলতে হবে। চলতি মাসেই সেখানে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু সেই সফর আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। নিজেদের ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিস্তর ভাবনা-চিন্তা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর মধ্যে বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে গেইলের মুখ থেকে পাকিস্তানের প্রশংসা কোন ইঙ্গিত বহন করছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে অংশ নিতে এখনঢাকায় আছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেখানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি বলেন, বর্তমানে পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলা অনেক সহজ। কারণ, সেখানে ক্রিকেটারদের রাষ্ট্রপতি পদমর্যাদার নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। মুহূর্তেই গেইলের এ সাক্ষাৎকারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
সন্ত্রাসবাদের জেরে দীর্ঘদিন ধরে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান। এক দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে সেখানে ফিরেছে মূলধারার ক্রিকেট।
গ্রেগরির ব্যাটে মাঝারি সংগ্রহ রংপুরের
সূচনাটা ভালো হয়নি। তবে মাঝপথে লড়াই করেন লুইস গ্রেগরি। শেষদিকে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন আল-আমিন ও জহুরুল ইসলাম। তাতে মাঝারি পুঁজি পেয়েছে রংপুর রেঞ্জার্স। ঢাকা প্লাটুনকে ১৪৯ রানের টার্গেট দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন ঢাকা প্লাটুন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফলে আগে ব্যাটিং করতে নামে শেন ওয়াটসনের রংপুর রেঞ্জার্স। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফির শিকার হন ওয়াটসন। তার পর মেহেদী হাসানের বলে ক্যামেরন ডেলপোর্ট দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে দলটি।   পরে লুইস গ্রেগরিকে নিয়ে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন নাঈম শেখ। তবে সফল হতে পারেননি তিনি। শাদাব খানের বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। এরপর আল-আমিনকে দলের হাল ধরেন গ্রেগরি। ধীরে ধীরে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তারা। ক্রিজে সেটও হয়ে যান এ জুটি। তবে রানের গতি মন্থর ছিল। সেটা বাড়াতে গিয়ে থিসারা পেরেরার বলির পাঁঠা হন গ্রেগরি। ফেরার আগে ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত তার লড়াইয়ে মাঝারি পুঁজি গড়ার ভিত পায় রংপুর। পরে সেটার ওপর দাঁড়িয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন আল-আমিন। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে ভালো সমর্থনও পান তিনি। তাতে ঘুরে দলের রানের চাকা। কিন্তু হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যান আল-আমিন। শাদাব খানের বলে বিদায় নেন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন এ মিডলঅর্ডার। জোট ভাঙার পর তৎক্ষণাৎ ফেরেন জহুরুল। থিসারা পেরেরার বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। পরে আর কেউ ঝড় তুলতে পারেননি। উল্টো পেরেরার বোলিং তোপে পড়ে রংপুর। সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তাসকিন আহমেদ।  এতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান পেরেরা। তবে বাস্তবে রূপদান করতে পারেননি তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ও আরাফাত সানি রানআউটে কাটা পড়েন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে উত্তরবঙ্গের দলটি। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেরেরা। আর ২ উইকেট নেন শাদাব।
সূচনাটা ভালো হয়নি। তবে মাঝপথে লড়াই করেন লুইস গ্রেগরি। শেষদিকে রানবাড়ানোর চেষ্টা করেন আল-আমিন ও জহুরুল ইসলাম। তাতে মাঝারি পুঁজি পেয়েছেরংপুর রেঞ্জার্স। ঢাকা প্লাটুনকে ১৪৯ রানের টার্গেট দিতে সক্ষম হয়েছে তারা।
ফের ক্রিকেটে ফিরছেন সাইফউদ্দিন
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকেই ইনজুরিতে ভুগছিলেন বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৯ বছর আগে পাওয়া চোট আবার ফিরে আসে তার। তা সত্ত্বেও ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেন তিনি। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেন সাইফউদ্দিন। ফলে চোট আরো বাড়ে। একপর্যায়ে গুরুতর আকার ধারণ করে। ফলে দীর্ঘদিন ক্রিকেটের  বাইরে চলে যান তিনি। তবে লম্বা পুনর্বাসনের পর ফের ক্রিকেটে ফিরছেন টাইগার পেস অলরাউন্ডার। নিয়মিত কোমরের ফ্যাসেল জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করতেন সাইফ। সেই ইনজুরির সবশেষ স্ক্যান রিপোর্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাতে এসেছে। সেটাই মূলত তার ফেরার ব্যাপারে আশা জোগাচ্ছে। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, গেল বুধবার সাইফউদ্দিনের স্ক্যান করানো হয়। সেই রিপোর্ট ভালো। ফলে এখন থেকে ওয়ার্ক লোড নিতে পারবেন তিনি। ধীরে ধীরে ব্যাটিং-বোলিং শুরু করতে পারবেন। ভারত সিরিজের পর ছুটিতে ছিলেন জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকান ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতো। তিনি বাংলাদেশে আসছেন শুক্রবার। তার অধীনে সাইফউদ্দিনের শেষ ধাপের পুনর্বাসন শুরু হবে। গেল অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সাইফউদ্দিনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে কারণে এবারের বিপিএলে দর্শক সারিতে তাকে বসে থাকতে হচ্ছে।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকেই ইনজুরিতে ভুগছিলেন বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৯ বছর আগে পাওয়া চোট আবার ফিরে আসে তার। তা সত্ত্বেও ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেন তিনি।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে শাস্ত্রী
ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তবে এ নিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় এক  টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সমালোচিত এ আইনের মধ্যে আমি অসংখ্য ইতিবাচক দিক দেখতে পাচ্ছি। ৫৭ বছর বয়সী ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব মনে করেন, নিশ্চয়ই ভেবে-চিন্তে এ আইন  চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি প্রদেশে আন্দোলন চলছে। প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন সংখ্যালঘুরা। শুরু থেকে এ নিয়ে সোচ্চার সাধারণ জনতাও। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবু তাদের থামানো যাচ্ছে না। আন্দোলন স্তিমিত করতে পারছে না তারা। এমন পরিস্থিতিতে শাস্ত্রীর মন্তব্যের পর দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় বইতে শুরু করেছে। আরো উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত আছে। অধিকাংশই তার বক্তব্যের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। শাস্ত্রী বলেন,সিএএ নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আমি নিজেকে একজন ভারতীয় হিসেবে ভাবছি। আমাদের দলেও জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরনের লোক আছে। কিন্তু সবকিছুর ঊর্দ্ধে হচ্ছে আমরা ভারতীয়। আমি সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার কথা বলব। কারণ, এ আইনের মধ্যে অনেক ইতিবাচক দিক দেখতে পাচ্ছি। তবে কি ধরনের ইতিবাচক দিক দেখতে পাচ্ছেন সেই ব্যাপারে কোনো কিছু জানাননি তিনি। ভারতীয় কোচ বলেন,আমি নিশ্চিত সবকিছু ভেবে-চিন্তে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইনটি নিয়ে এখনো কিছু কাজ করা দরকার। ভারতীয়দের স্বার্থে অর্থাৎ জনস্বার্থেই এটা করবে তারা। আমি একজন ভারতীয় হিসেবেই কথা বলছি। এখন পর্যন্ত মুসলিমবিদ্বেষী আইন নিয়ে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ মুখ খুলেছেন। বেশিরভাগই সরকারের পক্ষে মত দিয়েছেন। অনেকে আবার কোনো মন্তব্যও করতে চাননি। সেক্ষেত্রে শাস্ত্রী ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন বৈকি। তথ্যসূত্র: দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তবে এ নিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী।
নভদীপ এখন ভারতের 'শোয়েব আখতার'
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সবচেয়ে জোরে বল করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তরুণ পেসার নভদীপ সাইনি। গেল মঙ্গলবার ইন্দোরে শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গতিতে বল করেন তিনি। এরপর তাকে এখন ভারতের 'শোয়েব আখতার' বলছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা। ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন নভদীপ। যার মধ্যে রয়েছে ১৩টি ডট বল। এ বোলিং স্পেলে ওশাদা ফার্নান্দোকে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার জোরে বল করেন তিনি। এর খানিক আগে ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে লংকান ওপেনার ধানুষ্কা গুণাথিলাকাকে বোল্ড করেন সাইনি। এর পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে আলোচনার কেন্দ্রে ডানহাতি এ পেসার। ম্যাচ জয়ের পর নিজের বোলিং নিয়ে নভদীপ জানিয়েছেন, সাদা ও লাল-দুই বলেই এখন আমি ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছি। দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ২৭ বছর বয়সী পেসারই এখন ভারতের দ্রুততম বোলার। মেন ইন ব্লুদের হয়ে এখন পর্যন্ত ১টি ওয়ানডে এবং ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নভদীপ। ওডিআইয়ে ২টি ও টি-টোয়েন্টিতে সংগ্রহ করেছেন ৮ উইকেট। এছাড়া ২০১৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় তার। সেই মৌসুমে ১৩ ম্যাচে ১১ উইকেট নেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে জোরে বল করার নজির পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিডস্টার শোয়েব আখতারের। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়েন তিনি। এক অর্থে সেটি ছিল আগুনের গোলা। তথ্যসূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সবচেয়ে জোরে বল করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তরুণ পেসার নভদীপ সাইনি। গেল মঙ্গলবার ইন্দোরে শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গতিতে বল করেন তিনি। এরপর তাকে এখন ভারতের 'শোয়েব আখতার' বলছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা।
'কফি' বিতর্কে ফের সরব পান্ডিয়া
চোট কাটিয়ে উঠে এখন পুরোপুরি ফিট হার্দিক পান্ডিয়া।চলতি মাসে আবার ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে তাকে। এর আগে 'কফি উইথ করণ' বিতর্ক নিয়ে ফের মুখ খুললেন তিনি। এবার বিষয়টি নিজেদের কোর্ট থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার ভরপুর চেষ্টা চালালেন হার্দিক। বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক করণ জোহরের সেই টিভি টক শো'তে অংশ নেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় জাতীয় দলে তার সতীর্থ কেএল রাহুল। সেই অনুষ্ঠানে করা দুই ক্রিকেটারের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অভিযোগ রয়েছে, 'কফি উইথ করণ' শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে নারীদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলেন হার্দিক ও রাহুল। মুহূর্তেই তাদের ওই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। দুজনকে তীব্র সমালোচনা শুনতে হয়। ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হার্দিক ও রাহুলকে কিছুদিনের জন্য সাসপেন্ড করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিও গঠন করে তারা। পরে তীব্র সমালোচনা ও চাপের মুখে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করেন হার্দিক ও রাহুল। ২০১৯ বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে পরিতাপ জানান তারা। ফলে তাদের ফের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর চোটের কারণ দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন হার্দিক। সদ্য সুস্থ হয়েছেন তিনি। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে ফের মাঠে নামতে পারেন পেস অলরাউন্ডার। এর আগে হার্দিক দাবি করলেন,'কফি উইথ করণ' অনুষ্ঠানে যা হয়েছে, তাতে আমাদের কোনো দোষ ছিল না। আমরা ক্রিকেটার, জানতাম না কী ঘটতে চলেছে। কারণ, বল অন্যের কোর্টে ছিল।শট তাদেরই খেলার কথা ছিল। এটা অত্যন্ত সুরক্ষিত এক স্থান, যেখানে আপনি যেতে চাইবেন না। তাই এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার ছিল না। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
চোট কাটিয়ে উঠে এখন পুরোপুরি ফিট হার্দিক পান্ডিয়া।চলতি মাসে আবার ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে তাকে। এর আগে 'কফি উইথ করণ' বিতর্ক নিয়ে ফের মুখ খুললেন তিনি।
রেকর্ড ৬ কোটি টাকায় বিক্রি হলো ওয়ার্নের সেই টুপি
অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলে ভয়ংকর দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি হিসাবে বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে তাতে এখন পর্যন্ত ১০০ কোটির বেশি প্রাণি মারা গেছে। জীবন হারিয়েছে ২৭ জন মানুষও। এখনো দাবানল নিয়ন্ত্রণে না আসায় ক্ষতির পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে। দেশটির মাইলের পর মাইল গ্রাস করছে আগুন। দাবানল নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জের মুখে অস্ট্রেলিয়া। দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী অজি স্পিন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। দেশের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু করার তাগিদে নিজের প্রিয় ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি নিলামে তোলেন তিনি। ৫০ বছর বয়সী লেগস্পিনার এ ক্যাপ পরেই ১৪৫ টেস্টে শিকার করেছিলেন ৭০৮ উইকেট। ব্যাগি গ্রিনের ঐতিহাসিক মূল্যটা ঠিকই পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলীয় স্পিন জাদুকরের টুপিটি বিক্রি হয়েছে রেকর্ড ১ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০,০৭,৫০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬ কোটি টাকা। এর আগে এত বেশি চড়া মূল্যে আর কোনো অজি ক্রিকেটারের ব্যাগি গ্রিন টুপি বিক্রি হয়নি। ২০০৩ সালে কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ক্যাপ বিক্রি হয়েছিল সোয়া ৪ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রামাণে যা প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ওয়ার্নের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটি কিনেছে সিডনির ‘এমসি’ কোম্পানি। নিলামের শেষ মুহূর্তে ১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বেশি দিয়ে এটি কেনে তারা। নিলামে ক্যাপ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ রেড ক্রসের তহবিলে দিয়ে দেবেন ওয়ার্ন। যাতে সব অর্থ দাবানলে ক্ষতিগস্ত্রদের জন্য কাজে লাগে। তথ্যসূত্র: বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলে ভয়ংকর দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি হিসাবে বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে তাতে এখন পর্যন্ত ১০০ কোটির বেশি প্রাণি মারা গেছে। জীবন হারিয়েছে ২৭ জন মানুষও। এখনো দাবানল নিয়ন্ত্রণে না আসায় ক্ষতির পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে। দেশটির মাইলের পর মাইল গ্রাস করছে আগুন।
যত দিন যাচ্ছে, তত তরুণ হচ্ছি: গেইল
ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এখনো এতটুকু কমেনি ক্রিস গেইলের। ২০১৯ সালের শেষদিকে ক্রিকেট থেকে কিছুদিন বিশ্রাম নিয়েছিলেন তিনি। এর পর আবার চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলতে চলে এসেছেন। যত দিন সম্ভব খেলাটা চালিয়ে যেতে চান গেইল। বৃহস্পতিবার ঢাকায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে স্বঘোষিত ইউনিভার্স বস বলেন, অনেক মানুষ এখনো চায়  গেইল খেলুক। খেলাটির প্রতি এখনো আমার ভালোবাসা এতটুকু কমেনি। যত দিন সম্ভব আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। টি-টোয়েন্টি কিং বলেন, বিশ্বজুড়ে এখনো কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলছি আমি। কারণ, খেলাটিকে দেয়ার মতো এখনো অনেক কিছু আমার মধ্যে আছে। শারীরিকভাবে বেশ ভালো বোধ করছি। আমি নিশ্চিত, যত দিন যাচ্ছে; তত তরুণ হচ্ছি। আগামী সেপ্টেম্বরে ৪০ বছরে পা রাখবেন গেইল। আর কতদিন খেলতে চান? জবাবে রসিকতা করে তিনি বলেন, আরো ৫ বছর খেলা চালিয়ে যেতে চাই। ৪৫ একটি ভালো সংখ্যা। হ্যাঁ, আমরা ৪৫ বছর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারি। ৪৫ লক্ষ্যমাত্রা বানান, এটা একটা ভালো সংখ্যা। ২০১৪ সাল থেকে টেস্ট খেলছেন না গেইল। গেল আগস্টে নিজ মাঠ পোর্ট অব স্পেনে তিনি শেষ ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দলে ছিলেন না বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।  আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজেও ক্যারিবীয় দলে নেই গেইল। তবে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের পরিকল্পনায় আছেন তিনি। দলে জায়গা পেতে সাম্প্রতিক সময়ে নতুনদের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। তবে এ বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো স্কোয়াডে স্থান পেতে আশাবাদী এ বিগ হিটার। গেইল বলেন, এটা খুবই ভালো হবে। দলে জায়গা পেতে সবার দরজা খোলা আছে। দেখি কি হয়। আপনাদের মতো আমাদেরও কিছু তরুণ- মেধাবী খেলোয়াড় আছে। বিষয়টি আমি নির্বাচকদের কাছ থেকে শুনতে বিকল্পগুলো খোলা রাখব।
ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এখনো এতটুকু কমেনি ক্রিস গেইলের। ২০১৯ সালের শেষদিকে ক্রিকেট থেকে কিছুদিন বিশ্রাম নিয়েছিলেন তিনি। এর পর আবার চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলতে চলে এসেছেন।
শেষের নাটকে বার্সার বিদায়, ফাইনালে অ্যাটলেটিকো
চরম নাটকীয়তা ও শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জিতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে তারা। এর আগে গেল বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে ভ্যালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে রিয়াল মাদ্রিদ। ১২ জানুয়ারি সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে রিয়াল। বৃহস্পতিবার রাতে একই মাঠে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে অ্যাটলেটিকো। দলের হয়ে গোল করেন কোকে, মোরাতা ও কোররেয়া। আর বার্সার হয়ে গোল করেন মেসি ও গ্রিজম্যান। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র থাকে। পাঁচটি গোলই হয়েছে  দ্বিতীয়ার্ধে। অবশ্য প্রথমে নিশানাভেদ করে অ্যাটলেটিকো। ৪৬ মিনিটে বল ঠিকানায় পাঠান কোকে। তবে মাদ্রিদের দলটির এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫১ মিনিটে বল জালে জড়ান মেসি। দ্রুত এগিয়েও যায় বার্সা। ৬২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন গ্রিজম্যান। স্বভাবতই জয়ের স্বপ্ন দেখে তারা। তবে ম্যাচের শেষ অংকে আশাভঙ্গ হয় ব্লাউগ্রানাদের। ৮১ মিনিটে সফল স্পট কিকে অ্যাটলেটিকোকে সমতায় ফেরান মোরাতা। আর ৮৬ মিনিটে বার্সা শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকেন কোররেয়া। তাতে দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দ্য ইন্ডিয়ানসরা। সেই সঙ্গে বিদায় ঘটে মেসিদের। তথ্যসূত্র: বিবিসি।
চরম নাটকীয়তা ও শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জিতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে তারা।
আরেকটি ভোট লুটের আয়োজনে ব্যস্ত সিইসি: রিজভী
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আরেকটি ভোট লুটের আয়োজনে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। মানুষ ভীতির মধ্যে আছে, কারণ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার চাকরি রক্ষার্থে ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে অভিনব ভোট লুটের আয়োজনে ব্যস্ত। তিনি অভিযোগ করেন, আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রার্থীদের বাসায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হুমকি এবং সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের আক্রমণ এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। নির্যাতন এখন বীভৎস রূপ ধারণ করলেও নির্বাচন কমিশন নির্বিকার।  সার্বিক অবস্থায় এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আবারও ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের মতোই ঢাকা সিটিতেও প্রহসনের নির্বাচন করতে চায় বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।  এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে আরও অংশ নেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনি, যুবদল কেন্দ্রীয় নেতা সোহেল আহম্মেদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পলাশসহ প্রমুখ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আরেকটি ভোট লুটের আয়োজনে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এমপিদের প্রচারণার সুযোগ চাইলেন আতিকুল
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের জন্য এমপিদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেয়ার সুযোগ চেয়েছেন উত্তরের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম।  শুক্রবার দুপুরে উত্তরা জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম। নামাজ শেষে কুশল বিনিময় করে ৪ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর সড়কের সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন।  নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আতিকুল বলেন, আপনার দেখেছেন, নির্বাচনী প্রচারে এমপি বা মন্ত্রীদের অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমার কথা হচ্ছে, আজ যারা এমপি আছেন, তারাও তো দলের সদস্য। তাদেরও তো ইচ্ছা করে আমার সঙ্গে প্রচারে নামার। প্রতিপক্ষ বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রচারে সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মওদুদ আহমদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আতিকুল বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, অন্ততপক্ষে যারা এমপি আছেন, তারা যেন আমাদের সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করতে পারেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য এই বাধাটুকু যেন না থাকে। এ সময় তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান। লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করেন।  তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানসহ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে উত্তরাস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এসময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের জন্য সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেয়ার সুযোগ চান তিনি।  এদিন সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বয়েজ স্কুল আলেম-ওলামা, শিক্ষক প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি কাছে নৌকার জন্য ভোট চান।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের জন্য এমপিদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেয়ার সুযোগ চেয়েছেন উত্তরের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
যারা মুজিববর্ষ পালন করবে না তারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শ থাকবে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ, স্বাধীনতা নিয়ে নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে না। বাংলাদেশের অপর নাম বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর অপর নাম বাংলাদেশ। যারা মুজিববর্ষ পালন করবে না, তারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না।  শুক্রবার দুপুরে সেগুনবাগিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে ঢাকাস্থ শরিয়তপুর সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নে বিশ্বের রোল মডেল। আজকে প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।  নারী-পুরুষ আজকে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।  শরীয়তপুরের উন্নয়নের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই শরীয়তপুরের উন্নয়ন হয়। শুধু শরীয়তপুরই নয়, গোটা বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়।  কারণ আওয়ামী লীগ গণ মানুষের দল বলেই সর্বত্র উন্নয়ন করে। আওয়ামী লীগ হাওয়া ভবনের দল নয়, লুটপাট করার দল নয়। নিতে নয়, দিতেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বৃহত্তর শরীয়তপুরে মন্ত্রী হওয়ার মতো কমপক্ষে ২০ জন নেতা রয়েছেন। তারমধ্যে থেকে নেত্রী আমাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি আমার সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়ে নেত্রীর আস্থার মর্যাদা দিব। আমার সততা নিয়ে কেউ কখনো প্রশ্ন করতে পারবে না। সততার প্রশ্নে আমি কখনো আপোষ করব না।  বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের লেখনী যেন সত্যের পক্ষে হয়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন। একজন সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে একজন রাজনীতিবিদের সারাজীবনের অর্জন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি একজন রাজনীতিবিদ অনেক উপরেও উঠে।  শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিএম ইউসুফ আলী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজম।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শ থাকবে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ, স্বাধীনতা নিয়ে নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে না। বাংলাদেশের অপর নাম বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর অপর নাম বাংলাদেশ। যারা মুজিববর্ষ পালন করবে না, তারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না।
তাবিথকে ভোট দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করুন: মির্জা ফখরুল
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে ভোট দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারণাকালে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর ব্রিজ দিয়ে ১৪ নম্বরের দিকে যাওয়ার পথে তিনি এ কথা বলেন।  বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির অংশ হিসেবে নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মানুষ গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তাবিথ আউয়ালকে ভোট দিয়ে দেশ নেত্রীকে মুক্ত করবেন। তারা দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবারের সিটি নির্বাচনে ভোট যেন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়।  সরকারকে ভোট ডাকাত উল্লেখ করে মান্না বলেন, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। যারা ভোট দিতে যাবেন তারাও ঐক্যবদ্ধ হবেন। নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।  তিনি বলেন, কর্মী ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা প্রত্যেক বাড়িতে যাবেন, প্রত্যেক ভোটারের কাছে যাবেন। তাদের কাছে বলবেন, নিজের ভোট নিজে দেন। যদি কেউ বলে আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলবেন। পুলিশকে খবর দেবেন। যেন কেউ ভোট ডাকাতের সুযোগ না পায়। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ওরা ভোট ডাকাতি করে পার পেয়ে গেছে। আমরা আজ ঘোষণা করতে চাই, এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কোনো ভোট ডাকাত পার পাবে না। ভোট ডাকাতদের শাস্তি দেবো, ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনব।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে ভোট দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা তাবিথ আউয়ালের
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছেন।  শুক্রবার দুপুরে উত্তরা ৭ নম্বর জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা শুরু করেন তিনি।  নামাজ শেষে মসজিদের সামনে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা তাবিথ আউয়ালের পক্ষে স্লোগান দেন এবং মিছিল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। প্রচারণার শুরুতে তাবিথ আউয়াল বলেন, আমি প্রত্যাশা করি, নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে কমিশন কাজ করবে। জনগণ ভোট দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমি চাই, সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। নামাজ শুরুর আগে সবার কাছে দোয়া চান তিনি। এর আগে সকালে বিএনপির এই প্রার্থী রিটানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বুঝে নেন। তারা চাহিদা মাফিক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাঠে নামছেন। ঢাকা দক্ষিণে ইশরাকের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার তাপস। আর উত্তরে তাবিথের প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুল ইসলাম।  ৩০ জানুয়ারি এই দুই সিটিতে ভোট হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছেন।
যুদ্ধে না জড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতি আহ্বান কাদেরের
কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান অস্থিরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চলমান সঙ্কটে তিনি দুই দেশকে যুদ্ধে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সংঘাতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা যুদ্ধ চাই না। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা উভয়পক্ষের সরকারকে আহ্বান জানাব তারা যেন এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ থেকে সরে আসে। তিনি বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের ধাক্কা বাংলাদেশেও লাগবে। সেক্ষেত্রে ইরান, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সেখানকার দূতাবাসের মাধ্যমে সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন গুপ্তহত্যার শিকার হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ওইদিন পেন্টাগনের নির্দেশে মার্কিন ড্রোন হামলায় তাকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বাগদাদে মার্কিন ঘাটিতে হামলা চালায় ইরান।
কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান অস্থিরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চলমান সঙ্কটে তিনি দুই দেশকে যুদ্ধে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এ কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
সিটি নির্বাচনে সব দলের প্রার্থীর জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সমতল ভূমি (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন, অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তা করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই– এটি কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং সংস্কারকাজ উদ্বোধন শেষে আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জনসম্মুখে প্রচার চালাতে পারবে অথচ আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা কেন পারবেন না, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন থেকেই যায়। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে বিতর্ক আছে বলে দাবি করেন সরকারের এই মন্ত্রী। ভারতের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেন, অথচ আমরা তা পারি না। এতসবের পরও সিটি নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন অঙ্গীকার করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা তার পরও বলব– নির্বাচন কমিশনের দেয়া আচরণবিধি আমরা পালন করব। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ আচরণবিধি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলছি। উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আজ থেকে শুরু হয়েছে প্রচার। এবারই প্রথম দুই সিটির প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে।
সিটি নির্বাচনে সব দলের প্রার্থীর জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সমতল ভূমি (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন, অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তা করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই– এটি কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?
প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারে ব্যারিস্টার তাপস
প্রতীক পেয়েই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় দক্ষিণের ৭০ নম্বর ওয়ার্ড ডেমরা আমুলিয়া মডেল টাউন, মেহেন্দিপুর বাজার, মীরবাগ থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি। প্রচারে নিজে উপস্থিত থেকে ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি লিফলেট তুলে দেন ভোটারদের কাছে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা। শুক্রবার সকালে গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দক্ষিণের মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। ফজলে নূর তাপস পান নৌকা প্রতীক। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে তাপসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
প্রতীক পেয়েই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
একই ওয়ার্ডে লড়ছেন ক্যাসিনো সাঈদ ও তার স্ত্রী
ক্যাসিনোকাণ্ডে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ এবারও অংশ নিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে। সাবেক এই কাউন্সিলর ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবারও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীও এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন। শুক্রবার সকালে গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত ডিএসসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাঈদ ও তার স্ত্রী প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ায় এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। একেএম মমিনুল হক সাঈদকে লাটিম প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার কাঙ্ক্ষিত প্রতীক ছিল ঠেলাগাড়ি। প্রতীক বরাদ্দের সময় সাঈদ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে রাশেদুল হক নামে এক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন।  সাঈদ ঠেলাগাড়ি প্রতীক না পেলেও তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখী ওই প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এই প্রতীক বুঝে নেন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন একেএম মমিনুল হক সাঈদ।  গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে মাদক-সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর রাজধানীর ক্যাসিনো ব্যবসায় সাঈদের সংশ্লিষ্টতা মেলে। তিনি ঢাকায় ক্যাসিনোর রাজাধিরাজ ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ। সম্রাটই গতবার সাঈদকে ঢাকা সিটিতে মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছিলেন।  ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে সাঈদ আত্মগোপন করেন। দীর্ঘদিন সিটি কর্পোরেশনের বৈঠকে অংশ নেননি। এসব কারণে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। শুদ্ধি অভিযান ঝিমিয়ে পড়ার কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে গত ২৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফেরেন। তবে এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি সাঈদ। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হককে প্রার্থী করেছে। যিনি এবার ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করবেন।  আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে দুই সিটির সব কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে।
ক্যাসিনোকাণ্ডে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ এবারও অংশ নিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে। সাবেক এই কাউন্সিলর ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবারও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীও এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন।
স্বাধীনতার পরিবর্তে আমরা স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নিয়েছি: ড. কামাল
সংবিধান লঙ্ঘন করা মানে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র চেয়েছিলেন। অথচ আমাদের এখানে এখন গণতন্ত্র নেই। স্বাধীনতার পরিবর্তে আমরা স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নিয়েছি। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিতে হয়, আমাদের ঝুঁকি নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি ৭২, অকথিত ঘটনাবলি’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে কামাল হোসেন বলেন, তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করে জনগণকে দেশের মালিকানা হিসেবে রেখে গেছেন। তার স্বাক্ষরিত দলিলে লেখা আছে– এই দেশের মালিক জনগণ। আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো অসাধারণ নেতৃত্ব পেয়েছিলাম বলেই আজ স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি বলেন, সংবিধানের ৭ম অনুচ্ছেদে লেখা আছে– দেশের মালিক জনগণ। স্বাধীন দেশে স্বৈরাচার থাকার কোনো অধিকার নেই। এই দেশের প্রতিটি জনগণ যেন তার মৌলিক অধিকার পালন করতে পারে সে কথা বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন। তিনি কখনও অন্যায়ের ব্যাপারে আপস করেননি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত সেই দলিল বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রাখা আছে। প্রত্যেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এই দলিল দেখানো উচিত। এই স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ যদি গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তা হলে বঙ্গবন্ধুর কথা অমান্য করা হবে।
সংবিধান লঙ্ঘন করা মানে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র চেয়েছিলেন। অথচ আমাদের এখানে এখন গণতন্ত্র নেই। স্বাধীনতার পরিবর্তে আমরা স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নিয়েছি। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিতে হয়, আমাদের ঝুঁকি নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বায়তুল মোকাররম থেকে প্রচার শুরু করবেন ইশরাক, উত্তরা থেকে তাবিথ
প্রতীক পেয়ে গেছেন এরইমধ্যে। কিছুক্ষণ পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করছেন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির দুই প্রার্থী। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা মাঠে নামছেন প্রতীক নিয়ে।  ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়ে সেখান থেকেই শুরু করবেন প্রচার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই তথ্য দিয়েছেন ইশরাক নিজেই। অন্যদিকে উত্তর সিটিতে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল উত্তরা থেকেই শুরু করবেন প্রচারের কাজ।   তাবিথ আউয়াল দ্বিতীয়বারের মতো সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে ভোটের লড়াইয়ে প্রথমবার নামছেন ইশরাক হোসেন।   তাবিথ আউয়ালের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. হাসান জানান, জুমার পর উত্তরার ৭ নং সেক্টরে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করবেন তাবিথ আউয়াল।  সকালে বিএনপির এই প্রার্থী রিটানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বুঝে নেন। তারা চাহিদা মাফিক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাঠে নামছেন। ঢাকা দক্ষিণে ইশরাকের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার তাপস। আর উত্তরে তাবিথের প্রতিদ্বন্দ্বি আতিকুল ইসলাম। ৩০ জানুয়ারি এই দুই সিটিতে ভোট হবে।
প্রতীক পেয়ে গেছেন এরইমধ্যে। কিছুক্ষণ পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করছেন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির দুই প্রার্থী। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা মাঠে নামছেন প্রতীক নিয়ে।
ইসি নখদন্তহীন বাঘ: ইশরাক
প্রচারের শুরুতেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকার সমালোচনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (ডিএসসিসি) বিএনপির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। তিনি ইসিকে মেরুদণ্ডহীন ও নখদন্তহীন বাঘ বলে মন্তব্য করেছেন।  শুক্রবার সকালে রাজধানীর গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত ডিএসসিসি নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তার অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ শেষে বেরিয়ে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইশরাক হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে গত তিনদিন আগে ইসিতে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, কালবিলম্ব করছে। তাদের অবস্থা আমরা বুঝি। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। এ নিয়ে আমরা বিচলিত নই, পরোয়া করি না। আমরা আচরণবিধি মেনে চলছি। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার অনুমতির জন্য ইসিতে আবেদন প্রসঙ্গে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, এসব মিডিয়ায় কথা বলার অজুহাত। তারা প্রচার করছেন, ঘরোয়া বৈঠকেও অংশ নিচ্ছেন। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে। আমরা তো এক শহরে বাস করি, ভিনগ্রহে বাস করি না। বাবার স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, বাবা (সাদেক হোসেন খোকা) বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই আমার জন্য গর্ববোধ করতেন। তিনি ৩৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছেন। ১৯৯১ সালে প্রথম ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। সেই প্রতীক নিয়ে আমি মেয়র পদে নির্বাচন করছি। এই প্রতীকে পাস করে দলের প্রত্যাশা পূরণ করবো। আমার বাবা, দেশবাসী ও আমার জন্য দোয়া করবেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই সিটিতেই এবার ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোট হবে।  আজ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন দুই সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আজ থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু।
প্রচারের শুরুতেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকার সমালোচনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (ডিএসসিসি) বিএনপির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। তিনি ইসিকে মেরুদণ্ডহীন ও নখদন্তহীন বাঘ বলে মন্তব্য করেছেন।
নৌকার মাঝি ব্যারিস্টার তাপস, ইশরাক পেলেন ধানের শীষ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আর ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। প্রতীক পাওয়ায় এখন থেকে তাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা কাটল।  শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগ রোডের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের ডিএসসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তার অস্থায়ী কার্যালয় থেকে তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। ধানের শীষ প্রতীক নেন প্রকৌশলী ইশরাক। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে প্রতীক নেন ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান।  তাপস-ইশরাক ছাড়াও এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুর রহমান, ডাব প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা, আম প্রতীক নিয়ে এনপিপির বাহরানে সুলতান বাহার ও মাছ প্রতীক নিয়ে গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৮২ জন প্রার্থীসহ মোট ৪২৪ জন প্রার্থী এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, এখন থেকে সকল প্রার্থীরা নিয়ম মেনে প্রচার প্রচারণা করতে পারবেন। মাইকে প্রচার করা যাবে তবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে তা শেষ করতে হবে। প্রচারণার সময় কোনো প্রার্থী বা প্রার্থী পক্ষের লোকজন যেন কোনো মানুষকে উত্যক্ত না করে। প্রচারণার নামে মানুষকে বিরক্ত করা যাবে না। বিশেষ করে ধর্মীয় অবমাননা করা যাবে না।  আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রথম দুই সিটির সব কেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আর ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। প্রতীক পাওয়ায় এখন থেকে তাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা কাটল।
আতিক পেলেন নৌকা, তাবিথের হাতে ধানের শীষ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। আর ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপির তাবিথ আউয়াল। এছাড়া অন্য চার প্রার্থীর প্রতীকও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে (এনআইএলজি) ৬ মেয়র প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন উত্তর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। প্রতীক হাতে প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারে নামবেন আজ থেকেই। আতিক-তাবিথ ছাড়া অন্য প্রার্থীরা যেসব প্রতীক পেয়েছেন তা হল- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ পেয়েছেন হাতপাখা, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খান পেয়েছেন বাঘ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন আম এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির আহম্মেদ সাজ্জাদুল হক পেয়েছেন কাস্তে প্রতীক। প্রতীক বরাদ্দ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, আজ থেকে ভোটের যুদ্ধ চলে যাচ্ছে মাঠে। এই মাঠকে কোনো ক্রমেই আমরা ঘোলাটে করতে দেব না।  তিনি বলেন, নির্বাচন একটা উৎসব। এটাকে কোনো ক্রমেই সংঘর্ষে রূপ নিতে দেব না। মলিন হতে দেব না। এরপর এই সিটির সাধারণ আসনের কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মাঝে প্রতীক তুলে দেয়া হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রথম দুই সিটির সব কেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। আর ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপির তাবিথ আউয়াল। এছাড়া অন্য চার প্রার্থীর প্রতীকও চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
আখাউড়া থানা ভবনে মাইক লাগিয়ে ওসির জন্মদিন উদযাপন
ভারতীয় সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসূল আহমেদ নিজামী আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন পালন করা হয়েছে। তার জন্মদিন পালনে থানার ভেতরে হয়েছে ঝাঁকজমক অনুষ্ঠান। কোনো কিছু কমতি ছিল না পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে।  তবে মাইক লাগিয়ে গানবাজনা অনুষ্ঠান করার কারণে তা আখাউড়া উপজেলা সদরের সবার কানে পৌঁছেছে ঠিকমত। শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া অন্য কেউ অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে মাইকের শব্দে স্থানীয়রা জানতে পারেন, ওসি রসূল আহমেদ নিজামী জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসূল আহমেদ নিজামী জন্মদিন। এদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে জন্মদিনের এই নানান আয়োজন। শুরুতে ওসি রসূল আহমেদ নিজামীকে তার অফিস কক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরবর্তীতে কেক কাটার পর আখাউড়া থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় শুরু হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে গান-বাজনা ও নৃত্য অনুষ্ঠান।  এতে অংশ নেন কয়েকশত তার নিমন্ত্রিত অতিথি। এরপর সব অতিথিকে বিরিয়ানী দিয়ে নৈশ ভোজে আপ্যায়ন করা হয়। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইঁয়া, আখাউড়া পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগ সভাপতি মো. মনির খান, সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভূইঁয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল (এ্যারো বাবুল), যুবলীগ নেতা মুক্তা হোসেন ফয়সাল।  স্থানীয় সূত্র জানান, জন্মদিন পালনে এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সীমান্তবর্তী আখাউড়া এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।   এদিকে আখাউড়া থানা ভবনে ওসি রসূল আহমেদ নিজামী এই জন্মদিন আয়োজনকে ঘিরে সমালোচনা ও আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এইভাবে জন্মদিন পালন করতে পারে কি-না। এই ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসূল আহমেদ নিজামী শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, এটি পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠান ছিল। জম্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল না।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসূল আহমেদ নিজামী আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন পালন করা হয়েছে। তার জন্মদিন পালনে থানার ভেতরে হয়েছে ঝাঁকজমক অনুষ্ঠান। কোনো কিছু কমতি ছিল না পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে।
‘বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির হলে মোদির গদি ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে’
বাবরি মসজিদ যদি ভেঙে মন্দির বানানো হয় তাহলে মোদি সরকারের গদি ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ যদি ভেঙে মন্দির বানানো হয় তাহলে মোদি সরকারের গদি ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। খোদার গজব নেমে আসবে মোদি সরকারের ওপর।  ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী মোদি সরকারের জুলুম ও অবিচার সহ্য করা যাবে না। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বোয়ালখালী থানাধীন জামিয়া ওয়াহিদিয়া মাদ্রাসার দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনের প্রথম দিনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।   এ সময় সাংবিধানিকভাবে কাদিয়ানীদেরকে অতিসত্বর অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি জানান আল্লামা। এছাড়া নরওয়েতে পবিত্র কুরআন পুড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বাবুনগরী বলেন, উগ্রবাদী ইসকন সংগঠন ইসলাম ও স্বাধীনতার দুশমন।  তারা আমাদের কোমলমতি শিশুদের প্রসাদ খাইয়ে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে মুসলমানদের ঈমানি চেতনায় আঘাত করেছে৷ দেশব্যাপী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে তারা। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে অনতিবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ইসকনের সূদুর প্রসারী চক্রান্তের একটি হচ্ছে, তারা হিন্দু ছেলেদের দাড়ি রাখাবে, লম্বা জামা পরিয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করাবে৷ অতঃপর মাদ্রাসার ভেতরে ফেতনা সৃষ্টি করবে। আল্লামা বাবুনগরী প্রমাণ স্বরূপ বলেন, আমি যখন বাবুনগর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করি, তখন একটা ছেলে আমার কাছে 'উলুমুল হাদীস' পড়তে আসে। আমি তার চেহারায় কোনো নূর দেখতে পাইনি। তখনই আমার সন্দেহ হয়৷ তারপর নীরিক্ষা করে জানা যায় এই ছেলেটি খতনাও করেনি। সে উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকনের সদস্য। আল্লামা বাবুনগরী মাদ্রাসাগুলোর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনারা খুব যাচাই-বাছাই করে ছাত্র ভর্তি করাবেন। উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকন যেন কোনোভাবেই মাদ্রাসার ভেতরে ফেতনা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখাতে হবে।  বাবরি মসজিদের প্রসঙ্গ টেনে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ৫০০ বৎসরের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে মোঘল আমলের রাষ্ট্রপ্রধান এমনকি বৃটিশ সরকার এবং তৎপরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে অনেক হিন্দু রাষ্ট্রপ্রধানসহ নেতৃস্থানীয় হিন্দুরাও বাবরি মসজিদকে মসজিদ হিসেবে মেনে নিলেও গুজরাটের কসাই উগ্রবাদী হিন্দু মোদি সরকার বাবরি মসজিদকে রাম মন্দির বানানোর হিন্দুত্ববাদী উগ্র রায় পাস করে। আল্লামা বাবুনগরী আগামী প্রজন্মের যুবক-তরুণ সমাজকে শপথ করিয়ে বলেন, ইসলাম ও মুসলমানদের ইজ্জত সম্মান রক্ষার্থে যদি রক্তের প্রয়োজন হয়, রক্ত দেবেন। জীবন দিতে হলে জীবন দিয়ে হলেও ইসলাম ও মুসলমানদের ইজ্জত সম্মান রক্ষা করবেন।
বাবরি মসজিদ যদি ভেঙে মন্দির বানানো হয় তাহলে মোদি সরকারের গদি ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ যদি ভেঙে মন্দির বানানো হয় তাহলে মোদি সরকারের গদি ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। খোদার গজব নেমে আসবে মোদি সরকারের ওপর। ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী মোদি সরকারের জুলুম ও অবিচার সহ্য করা যাবে না।
চাঁদপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভায় হামলা
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।  এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন।  শুক্রবার সকালে উপজেলা ভান্ডারী মহল এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর ও অবমাননা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।  আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা যুবলীগের একটি মিছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের র‌্যালি নিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সভাস্থলে প্রবেশ করে হামলা করে। পুলিশ মিছিলের সামনে থাকলেও তারা বাধা দিতে ব্যর্থ হয়।  এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে আ. মমিন গাজী নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে হামলাকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে এএসআই মঞ্জুর আলম, এএসআই দিদার হোসেন, কনস্টেবল রাশেদ আহত হয়।  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভা চলাকালে যুবলীগের নামধারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ আওয়ামী লীগ কার্যালয় ব্যাপক ভাঙচুর করে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা মেনে নেয়া যায় না।   এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান আহমেদ রিপন, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ইরান,  আওয়ামী লীগ নেতা  নুর হোসেন, মোবাশ্বেরা বেগম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াছ বেগ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।   সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। এতে পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।  উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে  বর্তমান এমপি, উপজেলা যুবলীগসহ কাউকেই দাওয়াত দেয়া হয়নি। তাছাড়া র‌্যালি নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মিছিলে ইট মারায় ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নেতাকর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে।  ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান, যুবলীগের মিছিলটি পুলিশ বেষ্টনী মধ্যে থাকলেও তারা বেষ্টনী ভেদ করে হামলা করে।  উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, আজকের এই আনন্দময় দিনে এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রাজৈরে ভুল বোঝাবুঝির জেরে সংঘর্ঘ, নিহত ১
মাদারীপুরের রাজৈরে দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে।   শুক্রবার সকালে উপজেলার উত্তর হোসেনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  আহতদের মধ্যে বাবুল মুন্সী (৪৫), হাসান শেখ (৩৫) ও কহিনুর খালাশী অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর বাবুল মুন্সী দুপুরে মারা যান।   নিহত বাবুল মুন্সী একই গ্রামের মজিদ মুন্সীর ছেলে। বাবুল মুন্সীর মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর হোসেনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেলোয়ার মেম্বারের পক্ষের কয়েক যুবক মিলে এলাকার জঙ্গল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করার জন্য দা, কাঁচি ও ছেনা নিয়ে বের হয়।  এ ঘটনা দেখে প্রতিপক্ষ জুলফিকার খালাশীর লোকজন তাদের ওপর হামলা করতে এসেছে ভেবে ওই যুবকদের পরিছন্নতা কাজে বাধা দিয়ে তাদের ওপর হামলা ও মারধর করে।  পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই সাবেক মেম্বারসহ তিনজনকে আটক করলেও ক্ষিপ্ত দুপক্ষ থেমে থাকেনি।  ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালে বিবাদমান ওই দুটি পক্ষ জুলফিকার খালাশী (৫৫) ও দেলোয়ার মেম্বার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  মারাত্মক আহত সিরাজ খালাশী (৪০), জুলফিকার খালাশী (৫৫), কহিনুর খালাশী (৪৫) ও সজিব মুন্সী (৪৫), দেলোয়ার মুন্সী (৩০), বাবুল মুন্সী (৪৫), রিপন মুন্সীকে (৪৫) রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।   আহতদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসান শেখ (৩৫), বাবুল মুন্সী ও কহিনুর খালাশীকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর বাবুল মুন্সী (৪৫) বেলা ২টার সময় মারা যান।  মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিপক্ষের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে স্থানীয়া জানান।    ওসি খোন্দকার শওকত জাহান বলেন, বাবুল মুন্সী নামে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
মাদারীপুরের রাজৈরে দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গাজীপু‌রে পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় ইসলাম গ্রুপের একটি গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। শুক্রবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে ওই গার্মেন্টসের একটি ফ্লো‌রে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর ডিবিবিএল, কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ‌টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ যুগান্তরকে বলেন, দুপুরে জরুন এলাকায় ইসলাম গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রাথমিক আগুনের কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যায়নি।
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় ইসলাম গ্রুপের একটি গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। শুক্রবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে ওই গার্মেন্টসের একটি ফ্লো‌রে আগুনের সূত্রপাত হয়।
চাটমোহরে দুই সহযোগীসহ ‘আগুনপীর’ আটক
পাবনার চাটমোহরে ভণ্ডপীরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় ‘আগুনপীর’ ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।  শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ি গ্রামে ওই পীরের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ।  আটকরা হলেন– ভণ্ডপীর বাঘলবাড়ি গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে আবদুস সাত্তার ওরফে আগুনপীর (৭০)।  তার অন্য দুই সহযোগী বহিরগাতি গ্রামের দিরাজউদ্দিনের ছেলে রশিদ হোসেন এবং স্থল গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৪)। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আবদুস সাত্তার বাড়ির পাশে আস্তানা করে নিজেকে ‘আগুনপীর’ দাবি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। তার আস্তানায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আসর বসিয়ে সবাইকে নিয়ে গাঁজা সেবন করাত। বিষয়টি জানতে পেরে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক এসএম মঈনুদ্দীন ও সঙ্গীয় ফোর্স শুক্রবার ভোরে ওই আস্তানায় অভিযান চালান।  এ সময় ভণ্ডপীর আবদুস সাত্তার ওরফে আগুনপীর কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গাঁজা সেবন করছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় ভণ্ডপীর ও তার দুই সহযোগীকে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক এসএম মঈনুদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, আবদুস সাত্তার ওরফে আগুনপীর একজন প্রতারক। সে এলাকার নিরীহ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। গাঁজার আসর বসিয়ে সবাইকে মাদকের প্রতি আসক্ত করে ফেলছিলেন।  এ ঘটনায় থানায় মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
পাবনার চাটমোহরে ভণ্ডপীরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় ‘আগুনপীর’ ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
এমপি মোজাম্মেলকে শেষবারের মতো দেখতে হাজারো মানুষের ঢল
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেনের লাশ শুক্রবার দুপুর ১ টায় বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীল হেলিকপ্টারে করে পৌঁছায়। এ সময় তাকে একনজর দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে।   এর আগে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্টেডিয়ামে জড়ো হয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন।  লাশবাহী গাড়িতে করে স্টেডিয়াম থেকে রেলরোড দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান দলীয় নেতা কর্মীরা।  এর পরপরই জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, সরকারি পিসি কলেজ, জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষথেকে শ্রদ্ধা জানান। এখানে উপস্থিত হয় সাধারণ জনতাও তারা প্রিয় এই মানুষটিকে এক নজর দেখার চেষ্টা করেন।  পরে শহরের আমলাপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে নেয়া হয় তার মরদেহ। সেখান থেকে দুপুর ২ টায় আবার শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে গার্ডঅফ অর্নাার ও জানাজার নামাজের পর লাশ মাইক্রোযোগে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার এসিলাহা স্কুল মাঠে নেয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে জন্মস্থান কচুবুনিয়ায় আসরের নামাজবাদ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেনের লাশ শুক্রবার দুপুর ১ টায় বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীল হেলিকপ্টারে করে পৌঁছায়।এ সময় তাকে একনজর দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
করিমগঞ্জে মোবাইলে প্রেম থেকে বিয়ে, যৌতুকের দাবিতে হত্যা
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে নির্যাতন চালিয়ে নূরে হামজা নূর (২১) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গাংগাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত গৃহবধূ নূরে হামজা নূর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার মন্টু শেখের মেয়ে এবং কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গাংগাইল গ্রামের মো. মমতাজ মাস্টারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্ত্রী।  সে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকার আরকে চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও কলেজের বিএনসিসির ক্যাডেট ছিলেন।  নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী ও থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের পরিচয়ে নূরে হামজা ও নোমানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ৩ মার্চ দুজনে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার গাংগাইল গ্রামে বসবাস করছিলেন নূরে হামজা।  পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নোমান বিদেশ যেতে গৃহবধূর বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাঁচ লাখ এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। দরিদ্র মা-বাবার এ মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক দেয়ার ক্ষমতা নেই বলে জানালে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতে শুরু করেন তার স্বামী নোমান। প্রেম করে গোপনে বিয়ের কারণে মা-বাবাকে না জানিয়ে নীরবে এসব নির্যাতন সহ্য করে আসছিলেন এ গৃহবধূ। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে পুনরায় যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামী নোমান ও স্ত্রী নূরে হামজার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়।  একপর্যায়ে নোমান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রড-লাঠি দিয়ে নূরে হামজাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, এরই একপর্যায়ে নোমানের মা ও বাবা নূরে হামজার দুহাত ধরে রাখেন এবং নোমান গলাটিপে শ্বাসরোধে স্ত্রী নূরে হামজাকে হত্যা করে।  ঘটনার পর অভিযুক্তরা হত্যাকাণ্ডের বিষয় ধামাচাপা দিতে গৃহবধূর প্রাণহীন মরদেহ কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে লাশ রেখে তারা পালিয়ে যান।  পরে অভিযুক্তরা মোবাইল ফোনে নূরে হামজার বাবাকে জানান তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা মন্টু শেখ বাদী হয়ে বুধবার করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় মেয়ের স্বামী নোমান (৩০), নোমানের বাবা সফর আলী (৭০) ও মা রেহেনাকে (৫৭) আসামি করা হয়।  মামলার বাদী নূরের বাবা মো. মন্টু শেখ বলেন, মেয়ে নূরে হামজা মঙ্গলবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগে রাত ৯টার দিকে তাকে ফোন করে তার স্বামীর বাড়িতে আসতে বলেছিলেন।   করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মুমিনুল হক এ ঘটনায় হত্যা মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  ওসি মো. মুমিনুল হক বলেন, ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তবে ওসি দাবি করেন, ঘটনার দিন নোমান বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গেছে। আর এ ঘটনাটি নিশ্চিত হতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কাছে মোবাইল লোকেশন ও কললিস্ট চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে নির্যাতন চালিয়ে নূরে হামজা নূর (২১) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই শ্যালককে খুন করে ভগ্নিপতি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কামাল উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়েই পরিকল্পিতভাবে আপন শ্যালককে হত্যা করে ভগ্নিপতি মাখন মিয়া।  বৃহস্পতিবার বিকালে নবীগঞ্জ থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তথ্য জানান বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী।  তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর বানিয়াচং উপজেলার উজিরপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয় বজলু মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ মাখন মিয়াসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার। আসামিপক্ষের লোকজন আদালতে ফজল মিয়া হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এই হত্যাকাণ্ডে বেকায়দায় পড়ে যায় মাখন মিয়াসহ অপরাপর আসামিরা।  সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, একপর্যায়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পনা করে মাখন মিয়া। তার দলবল নিয়ে মজিদ মিয়ার বাড়িতে গোপন বৈঠকে মাস্টার প্ল্যান করেন। বৈঠকে সহজ-সরল প্রকৃতির লোক ভগ্নিপতি মাখন মিয়ার বাড়িতে আশ্রয়ে থাকা শ্যালক কামাল উদ্দিনকে হত্যা করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  তিনি বলেন, প্রথম পরিকল্পনা করা হয় ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর বানিয়াচং থানার সীমান্তবর্তী নবীগঞ্জ থানার অন্তরগত লহরজপুর গ্রামের হাওরে। ওই দিন তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরে ১৬ ডিসেম্বর রাতে মাছ ধরার পরিকল্পনা করে কামাল উদ্দিনকে হাওরে পাঠিয়ে হত্যার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সেই মোতাবেক ভগ্নিপতি মাখন মিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কামাল উদ্দিনকে লহরজপুর হাওরে পাঠান। সেখানে শাখাবরাক নদীর পাশে ধান ক্ষেতে কামাল উদ্দিনকে পেছন দিক থেকে ধরে ফেলে শরীফ।  এ সময় প্রথমে লেবু মিয়া শিকল দিয়ে কামালের বুকে আঘাত করে। একপর্যায়ে মাখন, ফারুক, অনুসহ সঙ্গীয় লোকজন উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় হামলাকারীরাই চিৎকার করে বলে প্রতিপক্ষের লোকজন কামাল উদ্দিনকে মেরে পালিয়ে যাচ্ছে।  পরে স্থানীয় লোকজন কামালকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে নেয়ার পথে কামাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়।  এ ঘটনার তিন দিন পর নিহতের বড় বোন এবং হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মাখনের স্ত্রী নবীগঞ্জ থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ঘাটন করে।  ইতিমধ্যে ফারুক মিয়া ছাড়াও শরীফ মিয়া ও মুমিন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মাখন মিয়াকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলে জানান পুলিশের সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী।  সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা এ মূহুর্তে নিরপরাধ দেখা যাচ্ছে। তদন্তে প্রমাণিত না হলে তাদের অব্যাহতি দেয়া হবে।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কামাল উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়েই পরিকল্পিতভাবে আপন শ্যালককে হত্যা করে ভগ্নিপতি মাখন মিয়া।
পূবাইল যুগান্তর প্রতিনিধির বোনের ইন্তেকাল
দৈনিক যুগান্তরের পূবাইল প্রতিনিধি মো. আখতার হোসেনের মেঝবোন নিলুফা বেগম (৫৪) আর নেই। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ঢাকার পশ্চিম ধুলাইরপাড়  শ্যামপুরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি (ইন্না...রাজিউন)।  নিলুফা বেগম দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্যব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পাশাপাশি মাদ্রাজেও তার চিকিৎসা হয়। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন নিলুফা।  মৃত্যুকালে স্বামী সিরাজুল ইসলাম ফকির, ২ ছেলে ২ মেয়ে রেখে গেছেন নিলুফঅ।  পশ্চিম ধুলাইপাড় বায়তুর  রহমান জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর মরহুমার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের খেতেরপাড়া জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হবে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হবে।  মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক যুগান্তরের পূবাইল প্রতিনিধি মো. আখতার হোসেনের মেঝবোন নিলুফা বেগম (৫৪) আর নেই। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ঢাকার পশ্চিম ধুলাইরপাড় শ্যামপুরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি (ইন্না...রাজিউন)।
বিশ্ব ইজতেমায় আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় এসে আরও দুই মুসল্লি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা তিন মুসল্লি মারা গেছেন।   ইজতেমা ময়দানের কন্ট্রোল রুমে মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মনজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার পাটগ্রাম এলাকার আমির হোসেনের ছেলে খোকা মিয়া (৬০) রাত পৌনে ১০ টার দিকে হৃদরোগে এবং মধ্যরাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার খৈগ্রাম এলাকার গুড়া মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৭০) বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান।  শুক্রবার বাদ ফজর ইজতেমা ময়দানে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া লাখীরপাড় এলাকার হাসেম আলী সিকদারের ছেলে ইয়াকুব আলী সিকদার (৮৫) নামে এক মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিতে এসে ময়দানে মারা যান। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।  পাকিস্তানের মাওলানা খুরশিদ আলম এ বয়ান করেন। তবে এর আগেই বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকেই শুরু হয় তালিমি বয়ান।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় এসে আরও দুই মুসল্লি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা তিন মুসল্লি মারা গেছেন।
বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেন আর নেই
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পাঁচবারের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন আর নেই। শুক্রবার রাত পৌনে ১টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)।    তার মৃত্যুর খবর শুক্রবার সকালে বাগেরহাটে পৌঁছলে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছেন। গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।    ১৯৪০ সালের ১ অক্টোবর মোড়েলগঞ্জ উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রামের বর্ধিষ্ণু পবিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাজী রহমত আলী; মা ময়ফুল বিবি। তিনি একমাত্র পুত্রসন্তান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাহমুদ হোসেনসহ বহুগুণগ্রাহী রেখে গেছেন।    ডা. মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাটের খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।  তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে পাঁচবার জয়লাভ করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি এসএসসি, ১৯৬১ সালে এইচএসসি, '৬৪ সালে চিটাগং মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। চিটাগং মেডিকেলে পড়াকালীন তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।    ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালে মোড়েলগজ্ঞ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পর পর দুবার তিনি এই পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে বর্ষীয়ান এই নেতা বাগেরহাট মহাকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি তিনি এই পদে ছিলেন।    দীর্ঘ ৫০ বছরে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে অনেক চড়াই-উতরাই পার করে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে ডা. মোজাম্মেল হোসেন এক পরম অভিভাবক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।    ১৯৯১ সালে বাগেরহাট-১ আসন থেকে তিনি জয়লাভ করে প্রথমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংদদে বাগেরহাটের প্রতিনিধিত্ব করেন। পরে তিনি সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়েই বিধবাভাতা, দারিদ্র্য ভাতা, বয়স্কভাতাসহ দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণকর অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান শুরু হয়।    ত্যাগী এই নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত কাছের মানুষ হিসেবে অন্যদের থেকে পরিচিত ছিলেন। আজ  শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত। পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬  E-mail: jugantor.mail@gmail.com
রাজবাড়ীতে খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলায় খোলা আকাশের নিচেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।  বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, তীব্র শীত ও মাঝেমধ্যে হালকা বৃষ্টির মধ্যেই বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ক্লাসরুমের বিকল্পব্যবস্থা করে নতুন ভবন তৈরির কাজ করা। শিক্ষার্থীরা জানায়, তীব্র শীতের মধ্যেই অনেক কষ্ট করে ক্লাস করতে হচ্ছে।       বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতী মৈত্র বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরির কাজ চলছে। পাঠদানের ক্লাসরুম না থাকার কারণে খোলা আকাশের নিচেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে।     বালিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুল হক বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে টিনের ছাপড়াঘর তৈরি করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।     এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলায় খোলা আকাশের নিচেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতার অফিসে ২ যুবককে মধ্যযুগীয় নির্যাতন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই যুবককে ছাগল চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ও কুতুবপুর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদারের নিজ বাড়ির কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে। পিটিয়ে এদিনই গুরুতর আহত যুবকদের পুলিশে দেন আলাউদ্দিন হাওলাদার। একইদিন উল্টো সাজানো ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আহত যুবকদের ছাগল চুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করে। ওই সময় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছিলেন, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর শাহী মহল্লা এলাকার শফিকুল ইসলামের দুটি বিদেশি জাতের ছাগল চুরি হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুজন চোরকে ধরে তাদের স্বীকারুক্তিতে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছাগল দুটি উদ্ধার করা হয়। পিটুনিতে আহত নাঈম (২৫) কুতুবপুর ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া এলাকার আব্দুর রব মাস্টারের ছেলে এবং অপরজন একই এলাকার যুবক, তার নাম রাতুল (৩০)। আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, নাঈম ও রাতুলকে মারধরের সময় ছাগলের মালিক শরীফ মিয়া নিজেই তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ফেসবুকে মারধরের ভিডিও কিভাবে গেছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, স্থানীয় ছেলেরা তার কাছ থেকে ভিডিওটি নিয়েছে ফেসবুকে পোস্ট করেছে। এদিকে ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই যুবককে পেটানো হচ্ছে। আর সেই পেটানোর নির্দেশ দিচ্ছেন আলাউদ্দিন হাওলাদার। নাঈমের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে প্রিন্টিং কারখানায় কাজ করে। ৩১ ডিসেম্বর রাতুলের সঙ্গে তাকেও মারতে মারতে নিয়ে গেছে। পরে আবার আলাউদ্দিন হাওলাদার তার অফিসে নিয়ে গিয়া ইচ্ছামত পিটিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। একটা পাগলা কুকুরকেও মানুষ এভাবে পিটায় না। আমার ছেলে অন্যায় করলে আমাদের জানাতে পারতো, পুলিশে দিতো। আমরা ওই বর্বরদের নির্যাতনের বিচার চাই। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেনের ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই যুবককে ছাগল চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
তাহিরপুরে প্রাচীন দুর্গ খননকাজ উদ্বোধন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে লাউড় রাজ্যের প্রাচীন দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আয়োজনে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের হলহলিয়ায় লাউড় রাজ্যের প্রাচীন দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ফিল্ড অফিসার মো. শাহীন আলমের সঞ্চালনায় দুর্গ খনন ও অনুসন্ধান বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে অবহিতকরণ উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। আলোচনাসভা ও খননকাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুনতাসির হাসান, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদ, সহকারী অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন আক্তার, বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. আমির উদ্দিন, ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবদুল কুদ্দুছ, মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মান্নানসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে লাউড় রাজ্যের প্রাচীন দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আয়োজনে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের হলহলিয়ায় লাউড় রাজ্যের প্রাচীন দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ফিল্ড অফিসার মো. শাহীন আলমের সঞ্চালনায় দুর্গ খনন ও অনুসন্ধান বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে অবহিতকরণ উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। আলোচনাসভা ও খননকাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুনতাসির হাসান, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদ, সহকারী অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন আক্তার, বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. আমির উদ্দিন, ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবদুল কুদ্দুছ, মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মান্নানসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাতকে আটক ৪ নৌ চাঁদাবাজ কারাগারে
সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে নৌযান থেকে চাঁদা আদায়কারী চারজনকে গ্রেফতারের পর করাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক চাঁদাবাজরা হলেন- ছাতকের মন্ডলীভোগ এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে আসাদুল্লাহ রায়হান, উপজেলার বউলা গ্রামের আব্দুল আলমের ছেলে জোনাইদ আহম্মদ, নওয়াগাঁওয়ের আনিছুর রহমানের ছেলে তাজুল ইসলাম, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম জয়। ছাতক থানার ওসি মো.মোস্তফা কামাল বলেন, ছাতকে সুরমা নদীতে চলাচলকারী বালু, পাথর, সিমেন্ট ও বিভিন্ন মালামালবাহী নৌযান আটকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়কালে লে. কমান্ডার ফয়সল আহমদের নেতৃতে সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল তাদের গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত একটি নৌকা, আদায়কৃত চাঁদার নগদ ৩৩ হাজার ৮০০ টাকা জব্দ করা হয়।
সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে নৌযান থেকে চাঁদা আদায়কারী চারজনকে গ্রেফতারের পর করাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় স্বপন হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   মহেশপুর থানার ওসি মোর্শেদ হোসেন খান বলেন, মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য স্বপন হোসেন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির সামনের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই স্বপন নিহত হন। এসময় তার ভাই মিল্টন হোসেন এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে যখম করে। আহত মিল্টন হোসেনকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় স্বপন হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
হাতিরঝিলের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের ডিএনডি খাল
অনেকটা হাতিরঝিলের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের ঐতিহাসিক ডিএনডি খালকে। তৈরি করা হচ্ছে নান্দনিক ৬টি ব্রিজও। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দু’টি প্যাকেজে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোশেন। জাইকার অর্থায়ণে সিদ্ধিরগঞ্জ ভাঙ্গারপুল থেকে শিমরাইল গলাকাটা ব্রিজ পর্যন্ত ডিএনডির প্রধান খাল পুনঃখনন ও খালের পশ্চিম পাড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তা। ৬টি ব্রিজের পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে ওয়াকওয়ে। সেই সঙ্গে হবে ডিএনডি খালের সৌন্দর্য বর্ধনও। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স উদয়ণ বিল্ডার্সের (জেভি) মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পুরো প্রকোল্পটি বাস্তবায়ন করবে ১৫ মাসের মধ্যে। গত বছরের ১১ ফ্রেব্রুয়ারি ও ৩ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি প্রকল্পটির দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ ও রাস্তার কাজের উদ্বোধন করেন। সেই থেকে চলছে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মহাকর্মযজ্ঞ। সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্টের (সিজিপি) আওতায় সিদ্ধিরগঞ্জের আওতাধীন নাসিক ৩নং ওয়ার্ডস্থ গলাকাটা পুল থেকে ৮নং ওয়ার্ডস্থ ভাঙ্গার পুল পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার ডিএনডি খালের সৌন্দর্য বর্ধণে ৬৩ কোটি ৪৮ লাখ এবং খালের উপর ৬টি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণে ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে ৩টি লোডেড এবং ৩টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হবে। ২০২০ সালের শেষের দিকে চলমান এই প্রকল্পটির মূল কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলীরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঐতিহাসিক ডিএনডি ক্যানেলটি সিদ্ধিরগঞ্জের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। এদিকে হাতিরঝিলের আদলে প্রকল্পটির কাজ হাতে নেওয়ার ফলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে সাধুবাদ জানিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। স্থানীয়রা জানান, এমন একটি সৌন্দর্য ও দৃষ্টিনন্দিত কাজ হাতে নেয়ায় আমরা অনেক খুশি। কেনান, এই প্রকল্প বাস্তবায়ণের মাধ্যমে আমরা সিদ্ধিরগঞ্জে একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র পেতে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জের চেহারাই অনেকটাই বদলে যাবে। চলমান এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখেও পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। প্রকল্পটির প্রধান প্রকৌশলী নীহার ভট্টাচার্য জানান, আমরা স্থানীয় জনগনের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজ করতে গিয়ে কাজের গতি কিছুটা শ্লথ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ওয়াসার পানির পাইপ এবং কল-কারখানার বর্জ্য অপসারণের পাইপ সরানো। বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ওয়াসার পানি সরবরাহের পাইপ এবং কারখানার বর্জ্য পানি অপসারণের পাইপ দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি নির্গত হওয়ার কারণে খালের মাটি কর্দমাক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া খালের পাশে গৃহস্থলী বর্জ্য সরাতে হচ্ছে। এতে করে প্রকল্পে সময় একটু বেশি লাগছে।
অনেকটা হাতিরঝিলের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের ঐতিহাসিক ডিএনডি খালকে। তৈরি করা হচ্ছে নান্দনিক ৬টি ব্রিজও।
ধর্ষণ মামলায় সেই ঢাবি ছাত্রীর জবানবন্দি
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় ভিকটিম (ছাত্রী) নিজে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।  শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় ভিকটিমের এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।  জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত ভিকটিমকে তার বাবার জিম্মায় দেন। এদিন ভিকটিম একান্তভাবে আদালতের কাছে সেই দিনের ঘটনা সম্পর্কে বর্ণনা দেন। আদালত সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন।  মামলার এজাহারে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী ওই ভিকটিম ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাবির রোকেয়া হলে থাকেন।  ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা হন তিনি। রাত ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে।  তখন ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ গজ শেওড়ার দিকে হেঁটে আর্মি গলফক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা একজন এসে তাকে ফুটপাতের পাশে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তার গলা চেপে ধরে।  মেয়েটি অজ্ঞান হলে পড়লে ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি কিছুটা সুস্থ হলে ওই যুবক তাকে মারধর করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। ওই যুবক (আসামি) মেয়েটির (ভিকটিম) কাছে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করে।  পরে আসামি মেয়েটির কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, ব্যাগ ও নগদ দুই হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি দৌড়ে রিকশা করে তার বান্ধবীর বাসায় যান।  এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ছেড়েছেন। এদিকে গত বুধবার ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাস স্ট্যান্ডে র‌্যাব আসামি মজনুকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর আসামির স্বীকারোক্তি অনুসারে ওই ছাত্রীর ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং আসামির ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।  পরদিন বৃহস্পতিবার আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাইলে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে আসামি রিমান্ডে আছেন।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় ভিকটিম (ছাত্রী) নিজে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
কুর্মিটোলা অভিমুখে শনিবার নিপীড়নবিরোধী গণপদযাত্রা
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ও নারীর জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার দাবিতে শনিবার কুর্মিটোলা অভিমুখে গণপদযাত্রা করবে যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট।  কুর্মিটোলায় শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী শনিবার বিকাল ৩টায় টিএসসি থেকে এ কর্মসূচী শুরু হবে।  গত মঙ্গলবার শাহবাগের এক গণঅবস্থান থেকে এই গণপদযাত্রার ঘোষণা দেয় সংগঠনের আহ্বায়ক শিবলী হাসান। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকের বিচারসহ যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট চার দফা দাবিতে এ কর্মসূচী পালন করবে।  দাবিগুলো হলো- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে; কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত জায়গাটি পুলিশি নিরাপত্তা ও সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে; সংশ্লিষ্ট এলাকার মাদকসহ সব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে; নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পুরো ঢাকা শহর সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে।   গণপদযাত্রার বিষয়ে শিবলী হাসান বলেন, কুর্মিটোলা শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইতোমধ্যে ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনতা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব দ্রুততার সঙ্গে ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করেছে। যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট দাবি রাখছে যেন খুব দ্রুততার সঙ্গেই এই মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়।  কুর্মিটোলার যে স্থানে শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তা ঢাকা শহরের খুব ব্যস্ততম এলাকা। পাশেই ক্যান্টনমেন্ট এবং কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড। এই এলাকাটিতে এর আগে আরও দুর্ঘটনা ঘটলেও আমলে নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। নিরাপত্তা দেয়া হয়নি ঢাকা শহরের ব্যস্ততম এই রাস্তাকে। ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। জানা যায়, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি ভুল করে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে সেখান থেকে অটোরিকশায় করে বাসায় ফেরার পর রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় ওই ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় মজনুকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ও নারীর জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার দাবিতে শনিবার কুর্মিটোলা অভিমুখে গণপদযাত্রা করবে যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট।
‘ধর্ষক মজনুর ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে’
প্রকৃত অপরাধী নিশ্চিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার মজনুর ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।  একই সঙ্গে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান, মাদক বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।  বক্তারা বলেন, সন্ধ্যা ৭টার সময় রাজধানী ঢাকায় ক্যান্টনমেন্টের মতো সুরক্ষিত এলাকার পাশে রাস্তা থেকে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ থেকেই বোঝা যায় সারাদেশে নারীদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই।  বিচারহীনতার রেওয়াজ, আইনের দীর্ঘসূত্রিতা, নারীর প্রতি সমাজের অধস্তন দৃষ্টিভঙ্গি, মাদক-পর্নোগ্রাফির বিস্তার ইত্যাদির ফলে নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা মহামারী পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ জন্য এ সব নির্মূলে সরকারের সব সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া সাধারণ জনগণকেও সজাগ ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা বলেন, কুর্মিটোলার ওই জায়গাটিতে আগেও নানা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই ছিল নিয়মিত ঘটনা। মাদকাসক্ত-ভবঘুরেদের আড্ডা এই এলাকায়। সেখানে আলোকসল্পতাও ছিল। তাহলে রাষ্ট্র ও পুলিশ প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কি ভূমিকা রেখেছে।  তারা এতদিন কি কাজ করেছে, সেটা এখন দৃশ্যমান। তারা যদি সচেষ্ট ভূমিকা পালন করতো তাহলে সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ হতো না। সেখানে নানা ধরনের অনৈতিক কাজ হতো না। বক্তারা আরও বলেন, সারা ঢাকা শহরে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রয়েছে, পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ছেয়ে ফেলতে হবে। যাতে আর কোনো অপরাধী অপরাধ না করতে পারে। আর কেউ ধর্ষণ না হয়, সব ধরনের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া হয়। এ সময় সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহিলা ফোরামের ঢাকা নগর শাখার সদস্য রুখসানা আফরোজ আশা, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য জেসমিন আক্তার প্রমুখ।
প্রকৃত অপরাধী নিশ্চিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার মজনুর ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।