title
stringlengths 10
148
| text
stringlengths 14
34.6k
| summary
stringlengths 1
7.08k
|
---|---|---|
নাট্যকার কাফীর ‘অভিনয় শৈলী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন | নাট্যকার ও নির্মাতা আব্দুল্লাহিল কাফীর ‘অভিনয় শৈলী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহিলা সমিতি মঞ্চে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন সাথী।
তিনি বলেন, ‘অভিনয় শৈলী’ নাম শুনলেই বোঝা যায় বইটি অভিনয়কে কেন্দ্র করে লেখা। আমি অভিনয় সম্পর্কে এতো কিছু না বুঝলেও এটুকু বুঝি অভিনয় করতে গেলে মঞ্চ প্রয়োজন, আর মঞ্চের জন্য কিছু পড়াশোনার প্রয়োজন। নাটকের যেসব প্রাথমিক ধাপ, তার সবগুলোই এই বইতে তুলে ধরা হয়েছে। আমি কাফীর বইয়ের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি’।
বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক বলেন, নাটক করতে হলে মঞ্চের বিকল্প নেই, কারণ মঞ্চ থেকেই উঠে আসে সত্যিকারের অভিনেতা। কাফীর নাটকের বইটি আমি পড়েছি অসাধারণ লেখনি, বিশেষ করে যারা নাটক করতে চায়, শিখতে চায় তারা উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
পিদিম প্রকাশনীর কর্ণধার আব্দুল আলীম বলেন, বইটি বের করতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। কারণ অভিনয়ের জন্য বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সারা দেশের নাট্যকর্মীদের কাছে বইটি ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।
বইটি লেখার অনুভূতি প্রকাশ করে লেখক আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, আমি একজন সাধারণ নাট্যকর্মী, নাট্যবোদ্ধা বা পণ্ডিত নই। তারপরও নাট্য বিষয়ক গ্রন্থ রচনার সাহস দেখানো ধৃষ্টতারই শামিল। আমার এই ‘অভিনয় শৈলী’ বইটি মূলত নবীন নাট্যকর্মীদের জন্য যারা নাটকের অ আ ক খ শুরু করেছেন কিংবা যারা থিয়েটার নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান।
তিনি বলেন, একজন নাট্যকর্মী সবসময় ভাঙতে ও গড়তে ভালোবাসেন। ভাঙা-গড়াই তার আনন্দ। নিশ্চয় এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, আমার এই বই পড়ে রাতারাতি কেউ দক্ষ অভিনেতা হয়ে যাবেন। এটা কখনোই সম্ভব নয়। কারণ, শুধু বই পড়ে অভিনয় শেখা যায় না। সত্যিকারের অভিনেতা হতে হলে অভিনয় শুরুর পাশাপাশি করতে হবে নিয়মতান্ত্রিক অনুশীলন ও কঠোর পরিশ্রম।
‘অভিনয় শৈলী’বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে নাট্যচার্য সেলিম আল দীন এর ‘সঙবাদ কার্টুন’নাটক মঞ্চায়ন করে বাংলাদেশ থিয়েটার প্রাঙ্গণ। নাটকটি নির্দেশনা দেন তারেক তাশহাদ।
প্রসঙ্গত, নাট্যকার আব্দুল্লাহিল কাফী ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কেটেছে রাজশাহী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা দনীর পাড়ঘেঁষা খোঁজাপুর মহল্লায়। ১৯৯৩ সালে মাধ্যমিকে পড়ার সময় স্কুলের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাটক অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চনাটকের সাথে যাত্রা শুরু। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যমঞ্চ’র সাথে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন ২০টিরও অধিক নাটক। রচনা করেছেন বেশ কয়েকটি নাটক।
অভিনেতা হিসেবেও সফলতার সাক্ষর রেখেছেন আব্দুল্লাহিল কাফী। ছোট বড় অনেক নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণ করেছেন অসংখ্য নাটক-টেলিফিল্ম। এছাড়া টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও রিয়েলিটি শো নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সিনিয়র প্রডিউসার হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০০৭ সালে জাতীয় নাট্য প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৫ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নাট্য প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ নির্দেশক নির্বাচিত হন।
| নাট্যকার ও নির্মাতা আব্দুল্লাহিল কাফীর ‘অভিনয় শৈলী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহিলা সমিতি মঞ্চে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। |
ঢাকা দক্ষিণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর জয় | ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চারজন কাউন্সিলর।
এর মধ্যে দুটি সাধারণ ওয়ার্ড ও দুটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রত্যাহারের শেষ দিনে একক প্রার্থী হওয়ায় রিটার্নিং অফিসার আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে ঢাকা উত্তর সিটিতে কেউই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হননি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে যে চারজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন, তারা হচ্ছেন- ২৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল, ৪৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের মো. আরিফ হোসেন (বর্তমান কাউন্সিলর) এবং সংরক্ষিত আসন ৬ নম্বরে (১৬, ১৭, ১৮ সাধারণ ওয়ার্ডের সমন্বয়ে) নারগিস মাহতাব (বর্তমান কাউন্সিলর) ও সংরক্ষিত ৮ নম্বর আসনের (২২, ২৩, ২৬) নিলুফার রহমান।
এ বিষয়ে নারগিস মাহতাব সাংবাদিকদের বলেন, আমার সংরক্ষিত আসনে আরও দুজন প্রার্থী ছিলেন। তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এ জন্য আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছি। অন্যরা কেন প্রত্যাহার করেছেন তা তার জানা নেই বলে জানান তিনি।
৪৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তবে তার অনুসারীরা জানান, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বাছাইয়ে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়, বাকিরা প্রত্যাহার করে নেয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ শেষে সবার সঙ্গে এ চার প্রার্থীরও ফলাফল গেজেটে প্রকাশ করা হবে।
| ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চারজন কাউন্সিলর। |
তেজগাঁওয়ে বাসের চাকায় শিশু পিষ্ট, থানায় চালকের আত্মসমর্পণ | রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ফারজানা (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাবা মাওলানা মিজানুর রহমান।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর তেজগাঁও থানার পাশের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পরপরই দেওয়ান পরিবহনের ওই বাসচালক সোহেল রানা বাস থামিয়ে তেজগাঁও থানায় গিয়ে হাজির হন।
নিহত শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মাওলানা মিজানুর রহমান গাজীপুরে জামেয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তিনি শেরেবাংলা নগরে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তেজগাও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসের চাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি বিশ্বরোড থেকে আজিমপুরের দিকে যাচ্ছিল।
তিনি জানান, মাওলানা মিজানুর রহমানের বাসা গাজীপুরে। মেয়েকে নিয়ে তিনি টঙ্গিতে ইজতেমায় আসেন। জুমার নামাজ শেষে তিনি সেখান থেকে ঢাকায় আসেন। বিজয় সরণী সিগনালে তারা দাঁড়িয়েছিলেন। সিগন্যাল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ান পরিবহনের গাড়ি ও মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে ছুটে।
একপর্যায়ে গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে বাবা-মেয়ে ছিটকে সড়কে পড়ে যান। পরে গাড়িটি শিশুর ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরপরই দেওয়ান পরিবহনের গাড়িচালক সোহেল রানা বাস থামিয়ে তেজগাঁও থানায় গিয়ে হাজির হন। তিনি এখনও পুলিশ হেফাজতে আছেন।
এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আজিজুর রহমান জানান, মোটরসাইকেল চালক সড়কের ডানপাশ ঘেঁষে যাচ্ছিলেন। দেওয়ান পরিবহনের গাড়িটি তার ঠিক পেছনেই ছিল।
তেজগাঁও থানার অদূরে মোটরসাইকেল চালক লেন পরিবর্তন করতে গেলে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজনে পড়ে যান। গাড়ির পেছনের ডান পাশের চাকা শিশুটির মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। আহত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পান শিশুটির বাবা।
| রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ফারজানা (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাবা মাওলানা মিজানুর রহমান। |
জুমার নামাজ শেষে মাঠে নেমেছেন তাবিথ-ইশরাক | ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর শুক্রবার আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী।
উত্তরা ৭ নম্বর জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা শুরু করেন তাবিথ আউয়াল। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়ে সেখান থেকেই শুরু করেন প্রচার।
এর আগে সকালে বিএনপির এই প্রার্থী রিটানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বুঝে নেন। তারা চাহিদা মাফিক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাঠে নামছেন। ঢাকা দক্ষিণে ইশরাকের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার তাপস। আর উত্তরে তাবিথের প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুল ইসলাম।
৩০ জানুয়ারি এই দুই সিটিতে ভোট হবে।
| ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর শুক্রবার আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী। |
ধানমণ্ডির বাড়িতে মিলল কোটি টাকার জাল নোট | রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করেছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়। বাড়িটিকে জাল নোট তৈরির কারখানা হিসেবে বিবেচনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে পশ্চিম ধানমণ্ডির ১-ই/১০ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় এ অভিযান চালায় র্যা ব।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন র্যা ব ১০-এর উপঅধিনায়ক মেজর মো. শাহরিয়ার। তিনি বলেন, বাড়িটির তৃতীয় তলায় জাল নোট তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছিল। খবর পেয়ে আজ সকালে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, জাল টাকা তৈরির কারখানায় র্যা বের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
| রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করেছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। |
ইজতেমার আয়োজনে বিদেশি মুসল্লিরা সন্তুষ্ট: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী | বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বে অংশ নেয়া তাবলিগ জামাতের একাংশের শীর্ষ মুরব্বি ও বিদেশি মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে ঢাকা আশকোনা হজ ক্যাম্পে স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থানরত বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বে আগত বিদেশি মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বিদেশি মেহমানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সালাম ও কুশল বিনিময় করে তাদের খোঁজ-খবর নেন।
মতবিনিময়কালে শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। তাবলীগ জামাত দ্বীনের মেহনতে নিবেদিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিঃস্বার্থ স্বেচ্ছাশ্রম ও অনুদানে পরিচালিত হয়। সারা পৃথিবীতে ইসলামের প্রচার এবং মানুষকে দ্বীনের পথে দাওয়াতের ক্ষেত্রে তাবলীগ জামাতের খেদমত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাবলীগ জামাতের বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার এত বিশাল বড় আয়োজন করা নিঃসন্দেহে একটি গর্বের বিষয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদর্শিতা দিয়ে ইসলামের খেদমতে অরাজনৈতিক সংগঠন তাবলীগ জামাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য যথাযথভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। একজন সত্যিকারের ঈমানদার হিসেবে বঙ্গবন্ধু তাবলীগ জামাতের দাওয়াতি কাজের সুবিধার্থে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের জন্য বিশাল জায়গা বরাদ্দ করেছিলেন। যার ফলে আজকে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে। তাবলীগ জামাতের মারকাজ এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু কাকরাইলেও জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ধার্মিক মুসলিম মহীয়সী নারী, তিনি তাবলীগ জামাতের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক ও বিশেষ অনুরাগী। তিনি বাংলাদেশে সূচারুরূপে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক ও সজাগ। সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরাপদে বিশ্ব ইজতেমা ব্যবস্থাপনা করার জন্য তিনি সবাইকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
তারই নির্দেশে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সব সংস্থা অত্যন্ত আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এ বছরের প্রথম পর্বের ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। এর ফলে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি মুসল্লির সমাবেশ হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী ১৭ জানুয়ারি হতে ২য় পর্বেও যাতে মুসল্লিরা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ইজতেমায় আসতে পারেন সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ইনশাআল্লাহ অত্যন্ত সুন্দরভাবেই এ বছরের ইজতেমার ২য় পর্বও সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
বিদেশি মুসল্লিদের সাক্ষাৎকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া চান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালী, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীদের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেন। এ সময় বিদেশি মেহমানগণ সুন্দর ও সফলভাবে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
| বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বে অংশ নেয়া তাবলিগ জামাতের একাংশের শীর্ষ মুরব্বি ও বিদেশি মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। |
নদী দূষণমুক্ত রাখতে ঢাকা ওয়াসা স্যুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান করেছে | স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার চারপাশে নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখতে ঢাকা ওয়াসা ইতিমধ্যে একটি স্যুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে। মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বর্তমানে ‘দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ নামে একটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণাধীন রয়েছে; যা সমাপ্ত হলে সরাসরি পয়ঃবর্জ্য নদীতে গিয়ে যে দূষণ হয়, তা অনেকাংশে বন্ধ হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে সিটি গভর্মেন্ট (নগর সরকার) গঠনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনের হাতে যে ক্ষমতা দেয়া আছে তা যথেষ্ট, তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রেক্ষাপটে শহর, নগর, গ্রামগুলো কিভাবে উন্নয়ন করার দরকার, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশিষ্টজনরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন, সব বিবেচনা করে আমাদের সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন উপজেলাসহ সবগুলোকে বিভিন্নভাবে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশনকে সক্ষমতা অনুযায়ী যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়া আছে বলে আমি মনে করি। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এসে দেখেছি এ ক্ষমতাগুলো যদি উনারা সত্যিকার অর্থে প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে পারেন, তাহলে নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির জনক উন্নত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিচালনা করছেন। যখন যেখানে নীতিগত, আইনগত, সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেবে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই উদ্যোগ নেয়া হবে।
হারুনুর রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ এ দেশে সব সময় সামনে বিপর্যয় দেখেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা জাতি সবক্ষেত্রেই সফলতা দেখছে। বিশেষ করে প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা আছে। কাজেই বর্জ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
| স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার চারপাশে নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখতে ঢাকা ওয়াসা ইতিমধ্যে একটি স্যুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে। মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বর্তমানে ‘দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ নামে একটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণাধীন রয়েছে; যা সমাপ্ত হলে সরাসরি পয়ঃবর্জ্য নদীতে গিয়ে যে দূষণ হয়, তা অনেকাংশে বন্ধ হবে। |
রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তাফিজ | রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সম্পর্কিত আদেশ জারি করা হয়েছে।
বিমান বাহিনীর এই কর্মকর্তাকে প্রেষণে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিতে তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে আদেশটি জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে কোনো দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদায়ন করবে। আরেক আদেশে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সাহেদুল হককে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এজন্য তার চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।
| রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সম্পর্কিত আদেশ জারি করা হয়েছে। |
দেশের স্বাস্থ্য খাত পাঁচ বছরে স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী | স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত আগামী পাঁচ বছরে স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যেভাবে দেশের আনাচে-কানাচে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাচ্ছে, তেমনিভাবে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ নিয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালের সেবা বহুগুণ বাড়ানো হবে। মানুষের স্বাস্থ্য ব্যয় কমানো হবে। যার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য খাত স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে।
বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের ৮৮টি উপজেলায় একযোগে ১০৩টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যাম্বুলেন্স বিতরণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৭ সালে ৯৮টি, ২০১৮ সালে ১১৩টি এবং ২০১৯ সালে ১০৩টি অ্যাম্বুলেন্স দেশের ৮৮টি উপজেলায় বিতরণ করা হল। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এতগুলো অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, অল্পদিনের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। নতুন চিকিৎসকদের গ্রামে পদায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে গ্রামের চিকিৎসাসেবা আরও উন্নত হয় এবং ঢাকায় চাপ কমে। নতুন করে ১৫ হাজার নার্স ও মিডওয়াইফ নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অ্যাম্বুলেন্স বিতরণকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জয়পুরহাট-১ আসনের সামছুল আলম দুলু, জামালপুর-৫ আসনের ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, রাজশাহীর ফজলে হোসেন বাদশা, সিলেট-৩-এর মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১-এর কাজিম উদ্দিন, রাঙ্গামাটির দিপঙ্কর তালুকদার, যশোরের রণজিৎ কুমার রায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২-এর আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-২ আসনের শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সংরক্ষিত নারী আসনের উম্মে ফাতিমা শিউলি, টাঙ্গাইল-৪-এর আমিনুল ইসলাম টিটু, বগুড়া ৪ আসনের মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৭ আসনের রেজাউল করিম বাবুল, টাঙ্গাইল-২ আসনের ছোট মনির এবং খাগড়াছড়ির কুজেন্দ লাল ত্রিপুরা নিজ নিজ এলাকার পক্ষে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি বুঝে নেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম, সিবিএইচসির লাইন ডিরেক্টর ডা. মহদেব চন্দ্র রাজবংশী প্রমুখ।
| স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত আগামী পাঁচ বছরে স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যেভাবে দেশের আনাচে-কানাচে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাচ্ছে, তেমনিভাবে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ নিয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালের সেবা বহুগুণ বাড়ানো হবে। মানুষের স্বাস্থ্য ব্যয় কমানো হবে। যার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য খাত স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। |
ঢাকা সিটির ভোট আগানো-পেছানোর কোনো সুযোগ নেই: ইসি | ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীরা না বুঝে আন্দোলন করছে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। দুই সিটির ভোট আগানো বা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার নির্বাচন কমিশন এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সচিব বলেন, আন্দোলন যারা করেছে তারা বয়সে অল্প, নবীন। তারা হয়তো কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে করছে। আমার ধারণা একটু পরই তারা বুঝে যাবে যে এটা ঠিক হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ভোটের উপর প্রভাব পড়ার কথা নয়। কারণ কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যাবে আন্দোলন করা ঠিক হচ্ছে না। এটা হয়তো বা তারা না বুঝে করছে। তাদের বুঝতে হবে সরস্বতী পূজা ২৯ জানুয়ারি। আর নির্বাচন হচ্ছে ৩০ জানুয়ারি। এক ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা। এ জন্য নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আগানোরও সুযোগ নেই।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হাইকোর্টে রিট করেছিল। সেই রিটটি খারিজ হয়ে গেছে। কারণ তারা তাদের যে যুক্তি তা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। মহামান্য আদালত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখকে যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন এবং রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রিট খারিজের পর তারা জানিয়েছিলেন যে আপিল করবেন। কিন্তু আমরা খোঁজ নিয়েছি এখন পর্যন্ত কোনো আপিল দায়ের হয়নি। যেহেতু আপিল দায়ের হয়নি, অ্যাপিলেড ডিভিশন থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। অতএব নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ৩০ তারিখই ভোটের জন্য ঠিক আছে।
শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে কমিশন সভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এ দিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অনানুষ্ঠানিক কমিশন সভায় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেননি কমিশনাররা। তবে প্রবাসীদের ভোটার করার বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দ্রুততার সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম শুরু করতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে বলা হয়েছে। ভোটার করার ক্ষেত্রে প্রবাসীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
| ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীরা না বুঝে আন্দোলন করছে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। দুই সিটির ভোট আগানো বা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। |
আমার কাছে আমিত্ব বলে কিছু নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কী মর্যাদা পেয়েছি, না পেয়েছি সেটা নিয়েও আমার কোনো চিন্তা নেই। আমার কাছে কখনোই আমিত্ব বলে কোনো কিছু নেই।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ৩০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই এমপি, কেউ উঁচু বা নিচুতে নেই। আর আমি কখনও নিজেকে উঁচুতে রয়েছি তা কখনও ভাবি না। আর কী পেলাম আর কী পেলাম না, সেই হিসাব আমি কখনও মেলাই না। কী মর্যাদা পেয়েছি, না পেয়েছি সেটা নিয়েও আমার কোনো চিন্তা নেই। আমার চিন্তা একটাই দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, দেশের মানুষকে কি দিতে পারলাম। যে মানুষগুলোর জন্য আমরা পিতা (বঙ্গবন্ধু) জীবন দিয়ে গেলেন, সেই মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম- সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় কথা। আর আমার কাছে কখনোই আমিত্ব বলে কোনো কিছু নেই।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক জীবনে বারবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি, কিন্তু কখনও পিছু হঠিনি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। দেশের দারিদ্র্য মানুষের জীবনমান যেন আরও উন্নত ও সুন্দর হয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। দেশ ও এ দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান, স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী লাখো শহীদের রক্ত যাতে বৃথা না যায়, দেশের মানুষ যেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারে- সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে নিয়ে যাব।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের যে সব দেশে আমাদের দূতাবাস আছে, সে সব দূতাবাসের মাধ্যমে মুজিববর্ষ পালন করা হবে। তা ছাড়া ইউনেস্কোভুক্ত দেশসমূহও তা পালন করবে। আর মুজিববর্ষ উদযাপনের সময় অনেক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান- অনেকেই আসবেন। আমরা ভাগে ভাগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেব। আর মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে। সেখানেও অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সংসদ সদস্যদের দাওয়াত দেব, তারা সংসদে এসে বক্তব্য দিয়ে যাবেন।
| প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কী মর্যাদা পেয়েছি, না পেয়েছি সেটা নিয়েও আমার কোনো চিন্তা নেই। আমার কাছে কখনোই আমিত্ব বলে কোনো কিছু নেই। |
অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ’৭৫-এর পর সত্যিই বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সেই অন্ধকার ভেদ করে এখন বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ কে (বিএনপি) মানল বা কে মানল না- সে জন্য জাতি বসে নেই, বসে থাকেনি। তারা যদি কাউকে সম্মান না দেখাতে পারে তাহলে সেটা আইন দিয়ে তো তাদের মনের ইচ্ছাটা পূরণ করা যাবে না। তবে বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। ২৯৮টি কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব বছরব্যাপী মুজিববর্ষ পালন করবে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য বিরল সম্মানের।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ৩০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যারা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যকাণ্ডে জড়িত- সে সব খুনিদের বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে পুরস্কৃত করেছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল- তাদের বিচারের পথ বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল- তাদের (বিএনপি) কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তারা যদি কাউকে সম্মান না দেখাতে পারে, সে জন্য জাতি বসে থাকেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার অবদান, নাম, স্লোগান ও ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। আজকে সেই সঠিক ইতিহাস সারা বিশ্বে উদ্ভাসিত হয়েছে। শুধু বাঙালির মুখে নয়, সারা বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকৃতি পেয়েছে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী দেশে-বিদেশে গৃহীত বিস্তারিত কর্মসূচি সংসদে তুলে ধরেন।
| প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ’৭৫-এর পর সত্যিই বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সেই অন্ধকার ভেদ করে এখন বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। |
প্রাথমিকে দুই জেলায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল স্থগিত | সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুই জেলার ঘোষিত চূড়ান্ত ফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
নীলফামারী ও বরগুনা জেলার ২১ জনের করা রিট আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩-এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ষাট শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা, বিশ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি বিশ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হইবে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বরের ঘোষিত ফলের ক্ষেত্রে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই নীলফামারীর পিংকি রানী রায়সহ ২০ জন ও বরগুনা জেলার এক প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
রেজাউল করিম আরও বলেন, আজ (বুধবার) আদালত ২ জেলার ফলের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ১৬ নিয়োগ প্রার্থীর করা আরেক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করেছিলেন। ওই রিটের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে ওইদিন কামাল হোসেন বলেন, রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং একই সঙ্গে ঘোষিত ফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফল কেন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কামাল হোসেন আরও বলেন, এর মধ্যে ওই ফল অনুসারে যদি তারা নিয়োগের উদ্যোগ নেয় তাহলে তা স্থগিতে আমরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে। আর আদালতের জারি করা রুল বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে।
| সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুই জেলার ঘোষিত চূড়ান্ত ফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। |
বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো: সংসদে প্রধানমন্ত্রী | জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক কোনো বিশেষ ঘটনা বা কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী পালনের অন্যতম শর্ত হল ইউনেস্কোর ম্যান্ডেটভুক্ত বিষয়সমূহ শিক্ষা-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নতকরণে ওই ঘটনার বা ওই ব্যক্তির বিশেষ অবদান থাকা। কোনো দেশ এ বিষয়ে আবেদন করলে পরে সাধারণ সভায় গৃহীত হলে তা ইউনেস্কো কর্তৃক উদযাপিত হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখার অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে ইউনেস্কো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
| জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। |
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ | ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট তিন স্তরে ১১ হাজার ১৩০ জন চূড়ান্তভাবে পাস করেছেন।
বুধবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সন্ধ্যায় এনটিআরসির ওয়েবসাইটে ঢুকে ফল দেখতে পারবেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
এনটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় ১১ হাজার ১৩০ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে স্কুলপর্যায়ে পাস করেছেন ৯ হাজার ৬৩ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ৬১১ এবং কলেজ পর্যায়ে ১ হাজার ৪৫৬ জন রয়েছেন।
আশফাক হোসেন বলেন, বুধবার ৩টার পর থেকে চূড়ান্তভাবে পাস করা চাকরিপ্রার্থীদের মোবাইল ফোনে খুদেবার্তায় ফল পাঠানো শুরু হয়েছে। ওই খুদেবার্তায় ফল দেখতে ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া থাকবে। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে এনটিআরসির ওয়েবসাইটে ফল পাওয়া যাবে।
গত ২৬ ও ২৭ জুলাই ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২ অক্টোবর ফল প্রকাশ করে এনটিআরসি। লিখিত পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৩৪৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
চাকরিপ্রত্যাশী ১ লাখ ২১ হাজার ৬৬০ জন ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
| ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট তিন স্তরে ১১ হাজার ১৩০ জন চূড়ান্তভাবে পাস করেছেন। |
বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে উন্নয়নে: আইআরআই | বাংলাদেশের মানুষ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি গত এক বছরে জনসমর্থন বেড়েছে বলেও সংস্থাটির সমীক্ষায় উঠে এসেছে। বিপরীতে কমেছে বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা।
সম্প্রতি আইআরআই পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। শেখ হাসিনার সরকারের বছরপূর্তিতে সংস্থাটি এ জনমত জরিপ করে। এই জরিপের ফল তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সালের ১ অগাস্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেডস্টোন সায়েন্টিফিকের তত্ত্বাবধানে এই জরিপ পরিচালনা করে আইআরআই।
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির নেতা জন ম্যাককেইনের নেতৃত্বে জরিপটি পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের আট বিভাগের ৬৪ জেলায় ‘মাল্টি স্টেজ স্টার্টিফাইড প্রবাবলিটি’ নমুনায়নের মাধ্যমে ব্যক্তিপর্যায়ে যোগাযোগ করে এই জরিপ চালানো হয়।
| বাংলাদেশের মানুষ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)। |
প্রাথমিকে আর শিক্ষার্থী বহিষ্কার নয়, বিধান বাতিল | প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থী বহিষ্কারসংক্রান্ত নীতিমালার ১১ নম্বর বিধিটি বাতিল করা হয়েছে। বুধবার সকালে আদালতকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ।
তলব আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হয়ে তিনি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য দেন।
সোহেল আহমেদ আদালতকে জানান, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পরীক্ষার্থীকে এখন থেকে আর বহিষ্কার করার সুযোগ নেই। এরই মধ্যে বহিষ্কারসংক্রান্ত ১১ নম্বর বিধিটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আর আদালতের নজরে আনা প্রতিবেদনের বিষয়ে ছিলেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ আদালতের এক তলব আদেশে বুধবার হাজির হন। তখন আদালত তাকে বলেন, ‘আমাদের আদেশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে আপনাকে আদালতে আসতে হতো না।’
পরে তার আইনজীবী শফিক মাহমুদ আদালতকে বলেন, ‘হাইকোর্ট যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
আদালত শফিক মাহমুদকে প্রশ্ন করেন, ‘শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারসংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিধিটি কি বাতিল করা হয়েছে?
জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিধিটি মন্ত্রণালয় বাতিল করেছে।’ এর পরই হাইকোর্ট মামলায় জারি করা রুলটি নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ১৯ নভেম্বর ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
| প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থী বহিষ্কারসংক্রান্ত নীতিমালার ১১ নম্বর বিধিটি বাতিল করা হয়েছে। বুধবার সকালে আদালতকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ। |
ঢাবি ছাত্রীকে মজনুর ধর্ষণের সব আলামত মিলেছে: ডিবি | রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের সব আলামত মিলেছে। সিরিয়াল রেপিস্ট মজনুই তাকে ধর্ষণ করেছে। দুজনের দেয়া তথ্যে হবহু মিল পাওয়া গেছে। ফরেনসিক পরীক্ষায়ও সেই আলামত মিলেছে। এমন তথ্য দিয়েছে মামলার তদারক করা সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি বলছে, এরই মধ্যে সব আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডিবির কাছে প্রতিবেদন জমা পড়েছে। মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদেও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, দুজনের তথ্যের হুবহু মিল রয়েছে। ওই ছাত্রীকে ভবঘুরে মজনুই ধর্ষণ করেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপকমিশনার মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হাসপাতালে তার কাছ থেকে নেয়া তথ্যের সঙ্গে মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের হুবহু মিল রয়েছে।
কুর্মিটোলায় যেখানে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে, সেখান থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে সিআইডি। সেগুলো ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। ল্যাব থেকে যে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে ধর্ষক মজনুর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনের মিল রয়েছে।
ডিবির এই উপকমিশনার আরও বলেন, এখন কেবল ওই তরুণীর ভ্যাজাইনাল সোয়াবের সঙ্গে মজনুর ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনের মেলানো বাকি। এ ছাড়া বাকি সব পরীক্ষার প্রতিবেদন মিলেছে। তাতে এটি প্রতীয়মান হয়, মজনুই ওই ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে।
৮ জানুয়ারি গ্রেফতারের পর দিন মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি মজনুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেদিন থেকেই ডিবির হেফাজতে মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রিমান্ডে ডিবির কাছে ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মজনু। ঢাবি শিক্ষার্থী ছাড়াও মজনু গত ১০ বছর ধরে একাধিক তরুণী, ভবঘুরে, প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণ করেছে। অনেককে হত্যার হুমকি দিয়েও ধর্ষণ করেছে মজনু।
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে মজনু বলেছে, ধর্ষণের পর ওই তরুণীর কাছে সে ৫০০ টাকা দাবি করে। মেয়েটি তার ব্যাগে টাকা আছে জানালে মজনু অন্ধকারে ব্যাগ খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে ব্যাগ পাওয়ার পর ভেতরে টাকা খুঁজতে থাকে সে। আর এই ফাঁকে মেয়েটি ছুটে পালায় ঘটনাস্থল থেকে।
মজনুর স্বীকারোক্তির সূত্রে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, মজনু পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে ঝোঁপের আড়ালে নেয়ার সময় বাঁচার আকুতি জানায় ঢাবির ওই ছাত্রী। কিন্তু রাস্তায় চলাচলকারী দ্রুতগতির যানবাহনের শব্দে তা ঢাকা পড়ে যায়। এ সুযোগ নিয়ে মজনু আরও বেপরোয়া আচরণ শুরু করে। একসময় নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নাটকীয় সংলাপ, অঙ্গভঙ্গি ও খিস্তি-খেউড় করতে থাকে। এতে ওই তরুণী হতবিহ্বল হয়ে পড়েন, হয়ে পড়েন চরম বিপর্যস্ত। এ পর্যায়ে কিছুটা সময় অচেতন ছিলেন তিনি। চেতনা ফিরে পাওয়ার পর বেহুঁশ হওয়ার ভান ধরে পালানোর পথ খুঁজতে থাকেন। কিন্তু মজনুর ভয়ঙ্কর আচরণে সাহস হারিয়ে ফেলে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন ফের। পরে থাকে ধর্ষণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন।
জানা যায়, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি ভুল করে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে সেখান থেকে অটোরিকশায় করে বাসায় ফেরার পর রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় ওই ছাত্রীর বাবার করা মামলায় মজনুকে মঙ্গলবার গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারের পর র্যা ব জানায়, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। মজনু আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল ঘটনাস্থলে। ঢাবি ছাত্রীকে জোরপূর্বক সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায় সে। এর পর ঝোঁপের এক পাশে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এর আগেও একই জায়গায় কয়েকজন নারীকে ধর্ষণ করে সে।
একই জায়গায় মজনু এ ধরনের অপরাধ করেছে। প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুকসহ বিভিন্ন নারীকে সে আটকে রেখে ধর্ষণ করত। তাদের হত্যার হুমকিও দিত। মজনু স্বীকার করেছে ঘটনার সময় সে একাই ছিল, ভিকটিমও তেমনই বলেছে।
| রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের সব আলামত মিলেছে। সিরিয়াল রেপিস্ট মজনুই তাকে ধর্ষণ করেছে। দুজনের দেয়া তথ্যে হবহু মিল পাওয়া গেছে। ফরেনসিক পরীক্ষায়ও সেই আলামত মিলেছে। এমন তথ্য দিয়েছে মামলার তদারক করা সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। |
বাবা দেনা শোধ না করায় মেয়েকে দিনের পর দিন... | বাবা ধারের টাকা শোধ করতে না পারায় মেয়ে তুলে দেন ধর্ষকের হাতে। ধর্ষক ওই কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। পরে জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯-এ ফোন দিলে মঙ্গলবার রাত ১২ টায় কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ধর্ষককে। কিশোরীর বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকার ঘটনা এটি।
উদ্ধারের পর কিশোরীকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগে আনা হয়েছে। পুলিশ বলছে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে ওসিসিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশের একজন উপপরিদর্শক জানান, কিশোরীর বাবা বছর খানেক আগে পাশের এক মুরগি বিক্রেতার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেছিলেন। মেয়েকে ধর্ষণের সুযোগ দিলে টাকা ফেরত দিতে হবে না—এমন শর্ত বেঁধে দেন ওই মুরগি বিক্রেতা। এর পর থেকেই ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে আসছিল।
ওই কিশোরী জানান, সংসারে দারিদ্রের কারণে তার মা বিদেশে কাজের খোঁজে গেছেন। গত ১১ জানুয়ারি আবার ধর্ষণের শিকার হলে মেয়েটি এক প্রতিবেশীকে জানায়। তিনিই পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করা হয়েছে।
| বাবা ধারের টাকা শোধ করতে না পারায় মেয়ে তুলে দেন ধর্ষকের হাতে। ধর্ষক ওই কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। পরে জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯-এ ফোন দিলে মঙ্গলবার রাত ১২ টায় কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ধর্ষককে। কিশোরীর বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকার ঘটনা এটি। |
ঘন কুয়াশায় শাহজালালে মধ্যরাত থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ | ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে।
ঘন কুয়াশায় কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
কুয়াশা কমে গেলে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আবারও শাহজালাল বিমানবন্দরে মিান ওঠানামা শুরু হয়।বুধবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা।
তিনি জানান, যেসব বিমান শাহজালালে অবতরণের কথা ছিল, সেগুলোকে কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৬ ঘণ্টা শাহজালালে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল।
এদিকে বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীরা।
| ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। |
ফেসবুকে বাংলাদেশ নিয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, ক্ষমা চাইল অ্যামনেস্টি | যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দিয়ে বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করেছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
তবে এমন ভুলের জন্য বাংলাদেশের জনগণের ক্ষমাও চেয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল মঙ্গলবার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নতুন এক পোস্ট দিয়ে ওই ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে সংস্থাটি।
ফেসবুকে দেয়া নতুন পোস্টে বলা হয়, ‘সংঘাত ও যুদ্ধময় দেশ, যেখানে মানুষ আক্রমণ, সংঘাত ও মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে ফেসবুক বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষমা চাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আমরা এই ভুলের জন্য বাংলাদেশের জনগণের এবং যারা এর মাধ্যমে মর্মাহত হয়েছেন, তাদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ফেসবুকে সিরিয়ার একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার ছবি আপলোড করে সেখানে শুধু বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি। সংস্থাটি সেখানে যুদ্ধে আক্রান্ত দেশে মানুষের মৃত্যু মুখে পতিত হওয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।
ওই পোস্টে সংস্থাটি লেখে, ‘বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় নিরপরাধ মানুষ আক্রমণের শিকার, সংঘাত ও মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে- কেবল মাত্র ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকার কারণে। যুদ্ধ ও সংঘাতের সময় ভয়ংকর নির্যাতনকে তুলে ধরতে আমরা সংগ্রাম করছি। এ ধরনের গল্প শোনানোর জন্য হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিন।’
অ্যামনেস্টির সেই বিভ্রান্তিকর পোস্ট।
অবশ্য শুক্রবার ওই পোস্ট দেয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ থেকে সেটি দেখা যায়নি।
| যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দিয়ে বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করেছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। |
ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হলেন রাবাব ফাতিমা | ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মরক্কো ও লিথুয়ানিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের উপস্থায়ী প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদরদফতরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
রাবাব ফাতিমা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এখন থেকে বাংলাদেশ শিশুদের জন্য বিশেষভাবে নিয়োজিত জাতিসংঘ সংস্থা ইউনিসেফের কর্মকাণ্ডে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করায় ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
২০২০ সালকে ইউনিসেফের জন্য একটি অর্থবহ ও কার্যকর বছরে পরিণত করার আশা ব্যক্ত করেন করেন তিনি।
বিশ্বে শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে ইউনিসেফ গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে শিশু অধিকার সুরক্ষায় নির্বাহী বোর্ড নতুন নতুন ধারণা ও কৌশল সৃজনে নিবেদিতভাবে কাজ করবে মর্মে প্রতিশ্রুতির কথা জানান রাবাব ফাতিমা।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন রাবার ফাতিমা।
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর রাবাব ফাতেমা বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী কূটনীতিক, যিনি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশের প্রথম নারী কূটনীতিক ছিলেন ইসমত জাহান। রাবাব ফাতেমা জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১৪তম স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিলেন।
| ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। |
তিন দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী | তিন দিনের সরকারি সফর শেষে আবুধাবি থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে আবুধাবি বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫ মিনিট) ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তাকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে আসেন আবুধাবিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
গত রোববার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পরদিন সোমবার সকালে আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের (এডিএনইসি) আইসিসি হলে ‘আবুধাবি সাসটেইনেবল উইক’ এবং ‘জায়েদ সাসটেইনেবল অ্যাওয়ার্ডস সেরিমনি’তে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার হোটেলে আয়োজিত এনভয়ে’স কনফারেন্সে যোগ দেন। সেখানে মধ্যপ্রাচ্যের নয়টি দেশ নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মঙ্গলবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএই প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ও ইউএই’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রেসিডেন্টের পত্নী শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারক আল কেতবির সঙ্গে দেখা করেন।
সেদিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী এডিএনইসির হল-১১তে আয়োজিত ‘দ্য ক্রিটিক্যাল রোল অব উইমেন ইন ডেলিভারিং ক্লাইমেট অ্যাকশন’ সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার অধিবেশনে যোগ দেন।
| তিন দিনের সরকারি সফর শেষে আবুধাবি থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। |
দক্ষিণ আফ্রিকায় আবারও বর্ণবাদের আনাগোনা | বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা নেল-সন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় আবার বর্ণবাদের আনাগোনা শুনা যাচ্ছে।
অভিবাসন আইন সংশোধনের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাধীনতার পর থেকে ২৬ বছর পরে তাদের বর্ণবাদী চেহারা ফুটিয়ে তুলেছে।
১ জানুয়ারি থেকে অভিবাসন আইন সংশোধনের মাধ্যমে অভিবাসীদের অধিকার হরণ করেছে বর্তমান এএনসি সরকার এমন অভিযোগ এখন মানবাধিকার সংস্থাসহ অভিবাসী সংঘটনের নেতাদের।
অভিবাসন আইন সংশোধনের মাধ্যমে চলতি মাস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত ২৬ লাখ বৈধ ও ১০ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীদের অধিকারকে সংকুচিত এবং আশ্রয়ের মর্যাদাগুলি ছিনিয়েছে সরকার।
নতুন সংশোধিত আইন অনুযায়ী কোন অভিবাসী দক্ষিণে প্রবেশ করলেই সীমান্তে দায়িত্ব নিয়োজিত ইমিগ্রেশনের কাছে বায়োমেট্রিকসসহ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
এছাড়া যেসব অভিবাসী তাদের দেশ ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আশ্রয় নেয়ার সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কারণ দেখাতে ব্যর্থ হবে তাদেরকে নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসের সুযোগ দেয়া হবে। এরপর স্বদেশে ফেরত যেতে হবে।
এছাড়া আশ্রয় নেয়া কোনো অভিবাসী দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা।
এসব বেশ কয়েকটি ধারা সংযোজন করে অভিবাসন আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করলে অভিবাসী নেতারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার হুমকি দিয়েছে এবং আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন শহরে অভিবাসীরা এ আইনের বিরুদ্ধে সভাসমাবেশ করেছে।
শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা বলেছেন, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধানের আওতাধীন বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আদালতে যাবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা মানবাধিকার কমিশন সংশোধিত অভিবাসী আইনের কারণে অভিবাসীদের মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এবং সরকারকে সংশোধিত আইনটি পরিবর্তনের আহ্বান জানান। অপরদিকে অভিবাসন আইনটি সংশোধিত হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী সাড়ে তিনলক্ষ বাংলাদেশি নাগরিক আতংকিত হয়ে পড়েছে এবং আইনটি কার্যকরের পর থেকে চলতি সপ্তাহে অন্তত ১শ বাংলাদেশি নাগরিক ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।
তবে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে,অভিবাসীদের সঠিক পরিসংখ্যান নির্ধারণ করতে এবং অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এ আইন সংশোধন করা হয়েছে।
| বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা নেল-সন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় আবার বর্ণবাদের আনাগোনা শুনা যাচ্ছে। |
সেই জায়রা ওয়াসিমকে হেনস্তা করায় ব্যবসায়ীর তিন বছরের জেল | সাবেক বলিউড অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমকে হেনস্তার ঘটনায় এক ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দুই বছর আগের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ভারতীয় ব্যবসায়ী বিকাশ সচদেবকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে মুম্বাই সেশনস কোর্ট।
জানা যায়, ২০১৭ সালে দিল্লি-মুম্বাই এয়ার ভিস্তারা ফ্লাইটে হেনস্তার শিকার হন দঙ্গলকন্যা খ্যাত জায়রা ওয়াসিম। ওই ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৭। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বুধবার আদালত যৌন নির্যাতন থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের আওতায় অভিযুক্ত বিকাশ সচদেবকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
অভিযোগে জায়রা আদালতকে বলেন, মুম্বাই যাওয়ার পথে আধো ঘুমের মধ্যে তিনি টের পান পেছনের আসনে বসা একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ তার পিঠে এবং ঘাড়ে পা দিয়ে ক্রমাগত স্পর্শ করছেন। ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে এমন অস্বস্তিকর অবস্থা চলে। ফোনে ওই ব্যক্তির ছবি তোলার চেষ্টা করলেও আলো কম থাকায় তা হয়নি।
এ ঘটনার পর জায়রা ওয়াসিম ইনস্টাগ্রামে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা দিয়ে পোস্ট দিলে তার সেই পোস্টটি ভাইরাল হয়। সেসময় ফ্লাইট থেকে নামার পরই জায়রা একটি ভিডিও ধারণ করেছিলেন।
ওই ভিডিওর সহায়তায় ব্যবসায়ী বিকাশ সচদেবকে চিহ্নিত করে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগের পাশাপাশি জায়রা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় পকসো ধারাতেও অভিযোগ দায়ের হয়।
আন্ধেরির বাসিন্দা সচদেব মুম্বাইয়ের একটি সংস্থার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ।ফ্লাইটে ঘুমের ঘোরে তার পা সামনের নারী যাত্রীর গায়ে লেগেছে বলে দাবি সচদেব ও তার স্ত্রীর।
প্রসঙ্গত পাঁচ বছরের জনপ্রিয়তাকে উপেক্ষা করে অভিনয় জগত ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন দঙ্গল সিনেমায় আমির খানের সঙ্গে অভিনয় করা কাশ্মীরি কিশোরী জায়রা ওয়াসিম। ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী তরুণ এ অভিনেত্রী অভিনয় ছাড়ার কারণ হিসেবে ‘ঈমান’ বা ধর্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন।
অভিনয় ছাড়ার কারণ হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী তরুণ এ অভিনেত্রী জানান, সিনেমা কিংবা তারকা-জীবন ধর্মবিশ্বাস বা ‘ঈমান’ থেকে তাকে ক্রমশ দূরে ঠেলে দিচ্ছিল।
২০১৬ সালে আমির খানের সঙ্গে ‘দঙ্গল’ ছবিতে অভিনয় করেন জায়রা ওয়াসিম। এটাই ছিল তার ডেব্যু ফিল্ম। এত কম বয়সে তার অভিনয় দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়।
ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড-ন্যাশনাল চাইল্ড অ্যাওয়ার্ড ফর একসেপশনাল অ্যাচিভমেন্ট পেয়েছেন জায়রা।
| সাবেক বলিউড অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমকে হেনস্তার ঘটনায় এক ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দুই বছর আগের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ভারতীয় ব্যবসায়ী বিকাশ সচদেবকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে মুম্বাই সেশনস কোর্ট। |
পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে ভারত, বাংলাদেশকে কেনার অনুরোধ | বেশিরভাগ রাজ্য সরকার চাহিদা প্রত্যাহার করে নেয়ায় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভারত। বিপদ থেকে উদ্ধার হতে এখন বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে চাইছে দেশটির সরকার।
সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ কিনে নেয়ার এ প্রস্তাব দেন বলে দেশটির ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য প্রিন্ট’ জানিয়েছে।
বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের জ্যেষ্ঠ এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার।
‘দ্য প্রিন্ট’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ভারত বিদেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজার টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের মাত্র ৩ হাজার টন নিয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের ভোক্তা কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মহারাষ্ট্র সরকার ১০ হাজার টন, আসাম ৩ হাজার টন, হরিয়ানা ৩ হাজার ৪৮০ টন, কর্ণাটক ২৫০ টন ও ওড়িশ্যা প্রদেশ সরকার ১০০ টন চাহিদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ রুপি পেরিয়ে যাওয়ার পর এসব রাজ্য এই নিত্যপণ্যটি আমদানি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। এখন তারা আমদানিকৃত পেঁয়াজের উচ্চমূল্য এবং স্বাদের ভিন্নতার অজুহাত দেখিয়ে সেগুলো নিতে রাজি হচ্ছে না।
রাজ্যগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের আমদানিকৃত পেঁয়াজ নিতে রাজি না হওয়ায় সেগুলো পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারত এসব পেঁয়াজ প্রতি টন ৫০ হাজার থেকে ৫৯ হাজার (৬০০ থেকে ৭০০ ডলারে) টাকায় আমদানি করেছে। এখন বাংলাদেশকে এসব পেঁয়াজ প্রতি টন ৫৫০ থেকে ৫৮০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মোদি সরকার।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে এবং নেপাল হয়ে আরও পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢোকার অপেক্ষায় আছে। সুতরাং বিনামূল্যে পরিবহনসহ ভারতের কিছু প্রণোদনা দেয়া উচিত।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল। ভারতের কেনা পেঁয়াজের গুনগত মান ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া ভারত বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তাই সেই পেঁয়াজ বাংলাদেশের আমদানি করা ঠিক হবে না।
এ ব্যাপারে ঢাকায় পেঁয়াজের পাইকারী বাজার শ্যামবাজারের আমদানিকারক শংকর চন্দ্র ঘোষ যুগান্তরকে বলেন, ওই পেঁয়াজের টেম্পার (খাদ্যমান) নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলোর মান এখন ভালো নেই। এগুলো বাংলাদেশের কারও আমদানি করা ঠিক হবে না।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজের দাম নিজেদের বাজারে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত।
| বেশিরভাগ রাজ্য সরকার চাহিদা প্রত্যাহার করে নেয়ায় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভারত। বিপদ থেকে উদ্ধার হতে এখন বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে চাইছে দেশটির সরকার। |
বিজেপিতে পদ হারাচ্ছেন অমিত শাহ | ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি পদ হারাতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে অমিত শাহর উত্তরাধিকারী হিসেবে বিজেপির সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা।
বুধবার নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। রাজ্যের পাশাপাশি সর্বভারতীয় সভাপতি পদেও এই পরিবর্তন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরে বলা হয়, আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হতে পারে বিজেপির নতুন সভাপতির নাম। বর্তমান কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডাকে অমিত শাহের স্থলাভিষিক্ত করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন বছরে রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলের পর দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তার জায়গায় নতুন সভাপতি আনার কথা শুরু হয়। কিন্তু তখনই পূর্ণ দায়িত্ব না দিয়ে অমিতকে মাথায় বসিয়ে রেখে কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হয়েছিল দলের আরেক প্রবীণ নেতা জেপি নাড্ডাকে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপিতে নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ মেনেই। নাড্ডা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলেই তাদের বিশ্বাস।
বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পরে মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় সুযোগ পান অমিত শাহ। তারপর ২০১৯-এর জুলাইয়ে নাড্ডাকে দলের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি অমিত শাহ সভাপতির দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন।
গত নির্বাচনে নাড্ডা রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং বহুজন সমাজ পার্টির মহাজোটের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। তার ছকেই উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয়লাভ করে বিজেপি।
এছাড়াও মোদি সরকারের প্রথম মন্ত্রিপরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন নাড্ডা এবং বিজেপির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংসদীয় বোর্ডের সদস্যও ছিলেন।
| ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি পদ হারাতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে অমিত শাহর উত্তরাধিকারী হিসেবে বিজেপির সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। |
রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের পদত্যাগ | রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বার্ষিক স্টেট অফ দ্য নেশনের বক্তৃতা দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই এই ঘোষণা এসেছে।
বুধবার মেদভেদেভ ঘোষণা করেন, তিনি এবং তার সরকার পদত্যাগ করেছেন। সরকারের কার্যক্রমে তিনি সন্তুষ্ট।
পদত্যাগ গ্রহণ করে নতুন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত মন্ত্রীদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।-খবর তাস, আরটি ও রয়টার্স
বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ব্যাপক সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য দেশজুড়ে ভোটের আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন।
এতে ক্ষমতা প্রেসিডেন্সি থেকে পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে চলে যাবে। ফলে ক্রেমলিন ছাড়ার পর নিজের শাসনের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ পাবেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলা হয় মেদভেদেভকে। ২০১২ সাল থেকে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এছাড়া ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
মেদভেদেভকে তার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন ধন্যবাদ জানালেও তার মন্ত্রিসভা অভিষ্ট লক্ষ্যে পুরোপুরি পৌঁছাতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে প্রেসিডেন্টশিয়াল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি হিসেবে তাকে দায়িত্ব দিতে পারেন পুতিন।
১৯৯৯ সাল থেকে কখনো প্রধানমন্ত্রী কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুতিন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনের বর্তমান ক্ষমতার মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালে শেষ হবে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি কী করবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখনো প্রকাশ করেননি। কিন্তু বর্তমান সংবিধানের অধীন কেউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরপর দুই মেয়াদের পর আর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে দেশের রাজনৈতিক অভিজাতদের পুতিন বলেন, সংবিধানে পরিবর্তন আনার পক্ষে তিনি। রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এটা অবশ্যই একটি বড় পরিবর্তন।
পার্লামেন্ট ও সুশীল সমাজের এই পরিবর্তনে সায় আছে মন্তব্য করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এতে পার্লামেন্ট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ও গুরুত্ব বাড়বে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বশীলতা ও স্বাধীনতা নতুন মাত্রা পাবে।
| রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বার্ষিক স্টেট অফ দ্য নেশনের বক্তৃতা দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই এই ঘোষণা এসেছে। |
অবশেষে ইরান ছাড়তে হল ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে | বিক্ষোভে অংশ নেয়াসহ নানান বিতর্কের পর অবশেষে নিজ দেশে ফিরে গেছেন ইরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকায়ার।
ইরানের বিভিন্ন মহল থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কারের দাবি জোরালো হওয়ার মধ্যেই তিনি তেহরান ত্যাগ করেছেন। খবর ইরনার।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত প্রটোকল মেনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তেহরান ছেড়েছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে ভুলবশত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভে অংশ নেয়ার পর শনিবার তাকে গ্রেফতার করে পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
এরমধ্যে ইরানের আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করে তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকিয়ারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন ইরানি বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই কূটনীতিকের অবয়বে একটি কার্ডবোর্ড কেটে সেটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সঙ্গে বৃটিশ পতাকাও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের ওই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তেহরানের বিক্ষোভে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি ‘বেআইনি, অপেশাদার ও সন্দেহজনক’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের এই পদক্ষেপ ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ এবং কূটনৈতিক রীতিনীতির পরিপন্থি। তার এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের ব্যর্থ নীতির প্রতি ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার অনুমান শক্তিশালী করে।’
এছাড়া রব ম্যাকেয়ারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইরানি বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন ইসমাইলি।
| বিক্ষোভে অংশ নেয়াসহ নানান বিতর্কের পর অবশেষে নিজ দেশে ফিরে গেছেন ইরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকায়ার। |
রোহিঙ্গা গণহত্যা: আন্তর্জাতিক আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ২৩ জানুয়ারি | রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর সেনাবাহিনীর গণহত্যা নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলাটির অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের দিন ধার্য করেছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত। আগামী ২৩ জানুয়ারি মামলাটির অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়া হবে।
সোমবার গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় টুইটে এ তথ্য জানিয়েছে বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য আইসিজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উত্তর পায়নি সংবাদমাধ্যমটি।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া গত ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলাটি দায়ের করে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করতে রাখাইনে গণহত্যা, গণধর্ষণসহ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ করা হয়েছে ওই মামলায়।
১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর টানা তিনদিন নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আইসিজে-তে শুনানি হয়। গাম্বিয়ার পক্ষে লড়েন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু।
আর মিয়ানমারের হয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে বাঘা বাঘা আইনজীবীদের দলের নেতৃত্ব দেন সু চি।
নৃশংসতার জন্য দায়ী সেনা সদস্যদের বিচার ও সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের উপর ‘আস্থা রাখা যায় না’ মন্তব্য করে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীবালীন নির্দেশনা চান গাম্বিয়ার প্রধান কৌঁসুলি পল রিখলার।
অন্যদিকে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে সু চি দাবি করেন, রাখাইনের পরিস্থিতি সম্পর্কে গাম্বিয়া যে চিত্র আদালতে উপস্থাপন করেছে তা ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’।
দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর আইসিজের ১৭ সদস্যের বিচারক প্যানেল বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।
মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত আরও তীব্রতর না হওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গাম্বিয়া।
রাখাইনে সহিংসতার কথা স্বীকার করলেও একে কোনোভাবেই গণহত্যা বলা যায় না বলে মন্তব্য করেন। সু চি বলেন, দুঃখজনকভাবে গাম্বিয়া রাখাইন রাজ্যের একটি অসম্পূর্ণ, ভ্রান্তিকর চিত্র উপস্থাপন করেছে।
হত্যা ও অন্য সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ও শাস্তি দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। বলেন, রাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে অন্যায়ে জড়িত থাকা সৈনিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার করছে, শাস্তিও দিচ্ছে। তার পরও কিভাবে একে গণহত্যার প্রচেষ্টা বলা যায়?’
এমন সাফাই গাওয়া মন্তব্যে বিশ্বমহলে তিরস্কৃত হচ্ছেন সু চি।
আইসিজেতে তিন দিনের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। গাম্বিয়ার আইনজীবীদের পাশাপাশি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
বাংলাদেশের একাধিক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়া ছয়টি অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়েছে। এর মধ্যে ক’টিতে গাম্বিয়ার অনুকূলে রায় আসবে সেটি বলা মুশকিল। তবে, আদালতে মিয়ানমারের বক্তব্যে স্ববিরোধিতা ছিল। ফলে আশা করা যাচ্ছে, রায়ে এর প্রতিফলন ঘটবে।
| রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর সেনাবাহিনীর গণহত্যা নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলাটির অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের দিন ধার্য করেছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত। আগামী ২৩ জানুয়ারি মামলাটির অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়া হবে। |
অপারেশন থিয়েটারেই নবজাতককে কামড়ে হত্যা করল কুকুর | ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ব্যক্তি মালিকানার হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে একটি নবজাতককে কামড়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে একদল কুকুর।
পুলিশের বরাতে এনডিটিভি ও গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার প্রদেশটির রাজধানী লখনৌ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ফররুখাবাদ শহরের আকাশ গঙ্গা হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ওইদিন সকালেই নবজাতকটির মা কাঞ্চন ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, তাদের শিশুটিকে দেখানো হয়নি। রাস্তার কুকুর তাকে অপারেশন থিয়েটারেই হত্যা করেছে।
ইতিমধ্যে হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসক ও হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নারী স্বামী রবি।
হাসপাতালের জানালা দিয়ে ঢুকে তিনঘণ্টা বয়সী ওই শিশুটকে কামড়ে রক্তাক্ত করে কুকুরগুলো। কিন্তু স্বজনা যখন অপারেশন থিয়েটারের ভেতর কুকুরের গর্জন শুনতে পান ততক্ষণে সে নিহত হয়েছে।
পুলিশ বলছে, নবজাতকটির সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত ছিল। ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তদন্ত কর্মকর্তা ভেদ প্রকাশ পান্ডে বলেন, পরিবারের অভিযোগ শিশুটিকে একা ফেলে রাখা হয়েছিল। হাসপাতালের জানালা খোলা ছিল।
শিশুটির পরিবার জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের বলা হয়েছে, শিশুটি মৃত জন্ম নিয়েছে। কিন্তু যখন চ্যালেঞ্জ জানানো হয়, তখন বিষয়টি গোপন রাখতে টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাদের।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই হাসপাতালটি চালানো হচ্ছিল। অবৈধ হাসপাতাল চালানোর দায়ে তাদের শাস্তি দেয়া হবে।
| ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ব্যক্তি মালিকানার হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে একটি নবজাতককে কামড়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে একদল কুকুর। |
মার্কিন সেনাদের অবস্থান করা ইরাকি ঘাঁটিতে ফের রকেট হামলা | বাগদাদে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অবস্থান করা ইরাকি বিমান ঘাঁটিতে নতুন করে রকেট হামলা হয়েছে। ইরাকি সামরিক বাহিনীর বরাতে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
তবে ক্যাম্প তাজিতে কয়টি রকেট আঘাত হেনেছে তা জানানো হয়নি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে ১০ লাখ লোকের দীর্ঘ পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন তেজদীপ্ত ইরাকি নেতা মোকতাদা আল-সদর। এর মধ্যেই এই কাতিউশা রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি বলে রয়টার্সের খবর জানিয়েছে। জোট বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মেইলিস কগিন বলেন, তাজি ঘাঁটিতে ছোট্ট হামলায় আমাদের কেউ হতাহত হননি।
বাগদাদের ৮৫ কিলোমিটার উত্তরে ইরাকের এই সামরিক ঘাঁটিতে বড় সংখ্যক মার্কিন ও বিদেশি বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সেনাদের অবস্থান এই ঘাঁটিতে।
মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর এই ঘাঁটি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছে।
এর আগে সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ইরাক ছাড়তে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে দেশটির পার্লামেন্ট।
সদর বলেন, দখলদার বাহিনীর উপস্থিতিতে আমাদের আকাশ, ভূমি ও সার্বভৌমত্বের নিয়মিত লঙ্ঘন ঘটছে। ইরাকিদের কাছে আমরা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার আহ্বান জানাচ্ছি।
গত রোববার বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলায় ইরাকি সামরিক বাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন।
ইরাকের এফ-১৬ বিমানের প্রধান ঘাঁটি হচ্ছে আল-বালাদ। বিমান সক্ষমতা বাড়াতে এসব বিমান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল।
মার্কিন ঠিকাদারসহ দেশটির বিমান বাহিনীর একটি দল এই ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। যদিও গত দুই সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে বড় একটি সংখ্যক অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন উপদেষ্টা এবং স্যালিপোর্ট ও লকহিড মার্টিনের কর্মীদের ৯০ শতাংশ তাজি ও ইরবিল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব কর্মীরা বিমান ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সেখানে ১৫ জনের বেশি মার্কিন সেনা ও একটি বিমানের বাইরে কিছু নেই। বাকিরা চলে গেছেন।
| বাগদাদে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অবস্থান করা ইরাকি বিমান ঘাঁটিতে নতুন করে রকেট হামলা হয়েছে। ইরাকি সামরিক বাহিনীর বরাতে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। |
সঠিক পথেই এগোচ্ছে ভারত: মোদি | ভারত সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
চেন্নাইয়ে মঙ্গলবার তামিল পত্রিকা তুঘলক এর এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এমন দাবি করেন। খবর এনডিটিভির।
সম্প্রতি গত ৬ বছরের ইতিহাসে তলানিতে পৌঁছায় ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এ প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসে।
স্বভাবতই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সরব নানা মহল। তবে নরেন্দ্র মোদির দাবি, দেশ শুধু ঠিক পথেই চলছে না; বরং দ্রুত উন্নতির পথে অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, একদিন যা অসম্ভব বলে মনে হতো, তার সবই এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কিছু অসৎ উদ্দেশ্যে দেশের মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। অশান্তি জিইয়ে রাখা হচ্ছে।
দেশ কিভাবে উন্নতির পথে এগোচ্ছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মোদি। তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা (কাশ্মিরের স্বায়ত্ত্বশাসন) বিলুপ্ত করা হয়েছে।
মুসলমানদের তিন তালাক নিষিদ্ধ হয়েছে। দেশজুড়ে একটি কর ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। এসব একদিন অসম্ভব বলে মনে হতো। কিন্তু আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। একদল মানুষ এই উন্নয়ন সহ্য করতে পারছেন না।
| ভারত সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। |
মোদির রোষে থেমে যাবেন না মাহাথির | কূটনৈতিক বিবাদে পাম ওয়েল আমদানিতে ভারতের নতুন বিধিনিষিধে মালয়েশিয়া উদ্বিগ্ন হলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না যাওয়ার আভাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
অর্থনৈতিকভাবে তার দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।-খবর ডন অনলাইন
বিশ্বে ভোজ্য তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশ ভারত গত সপ্তাহে নিজেদের নীতি পরিবর্তন করেছে, যাতে মালয়েশিয়া থেকে কার্যত পরিশোধিত পাম ওয়েল আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর পাম ওয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ হচ্ছে মালয়েশিয়া।
ভারতের নতুন ধর্মভিত্তিক আইনের বিরুদ্ধে মাহাথির সরব হওয়ার পরেই তাতে আপত্তি জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার।
৯৪ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাষী হওয়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সৌদি আরব ও ভারতের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সম্পর্কে তিক্ততা শুরু হয়েছে।
এর আগে অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের দখলদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। দেশটির তেল পরিশোধনকারীরা যখন ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন, তখন মাহাথির বলেন, তার সরকার একটা সমাধান বের করে ফেলবে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ ভারতে আমরা বেশি করে পাম ওয়েল বিক্রি করতাম। কিন্তু অন্যায় চলতে থাকলে আমাদের অকপট হওয়া উচিত। আমাদের তা বলে দিতে হবে।
মাহাথির বলেন, যদি আমরা অন্যায় চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিই, কেবল এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থের কথা ভাবি। তখন অনেক অন্যায় হয়ে যাবে।
সোমবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশীয় পাম ওয়েল থেকে দূরে থাকতে ব্যবসায়ীদের অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনা দিয়েছে ভারতীয় সরকার। এখন তারা ইন্দোনেশীয় তেলের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন।
| কূটনৈতিক বিবাদে পাম ওয়েল আমদানিতে ভারতের নতুন বিধিনিষিধে মালয়েশিয়া উদ্বিগ্ন হলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না যাওয়ার আভাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। |
মার্কিন সেনা তাড়াতে বিশাল পদযাত্রার ঘোষণা আল সদরের | ইরাকের জনপ্রিয় আমেরিকাবিরোধী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদর দেশ থেকে মার্কিন বাহিনী বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বিশাল এক পদযাত্রারও ঘোষণা দিয়েছেন এ শিয়া নেতা। খবর আলজাজিরার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে মুক্তাদা আল সদর ওই পদযাত্রার ঘোষণা দেন।
ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা করে টুইটারের ওই পোস্টে সদর বলেন, প্রতিদিন দখলকারী সেনাদের মাধ্যমে ইরাকের আকাশ, ভূমি ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হচ্ছে।
তাদের অযাচিত উপস্থিতির নিন্দা জানাতে দেশবাসীকে একতাবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান সদর। তবে ঠিক কবে, কোথায় ওই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি এ নেতা।
এরই মাঝে সদরের পদযাত্রায় অংশ নেয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে দেশটির শিয়া গোষ্ঠীগুলো।
ইরাকের পার্লামেন্টে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারবিষয়ক একটি বিল পাস হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সদর এ পদযাত্রার ঘোষণা দিলেন।
ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতির কট্টর সমালোচক মুক্তাদা আল সদর। সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে ইরাকি পার্লামেন্টে পাস হওয়া সাম্প্রতিক বিলকে ‘দুর্বল’ পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন তিনি।
বিল পাসের পর পর পার্লামেন্টকে দেয়া এক চিঠিতে সদর আরও বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছে- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত নিরাপত্তাসংক্রান্ত চুক্তি বাতিল, ইরাকে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া এবং ‘লাঞ্ছিত’ করে মার্কিন সেনাদের ইরাক থেকে বের করে দেয়া।
| ইরাকের জনপ্রিয় আমেরিকাবিরোধী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদর দেশ থেকে মার্কিন বাহিনী বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছেন। |
যেভাবে ইরানি হামলা থেকে রক্ষা পেলেন মার্কিন সেনারা (ভিডিও) | বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানি শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যার পর ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ওপর অন্তত ছয়টি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
সবচেয়ে বড় হামলাটি চালিয়েছে ইরান। মার্কিন সেনাদের ব্যবহৃত সামরিক ঘাঁটিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আইন আল-আসাদ সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশের বিরল সুযোগ পেয়েছে আল-জাজিরা। আনবার প্রদেশ থেকে প্রতিবেনদটি তৈরি করেছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদক ওসামা বিন জাভেদ।
আগে থেকে প্রস্তুতির কারণেই হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন সেনারা। হামলর ঘটনায় বিস্মীত ও আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
দেখুন ভিডিওতে
| বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানি শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যার পর ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ওপর অন্তত ছয়টি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। |
ভারত সফরের আমন্ত্রণ পাচ্ছেন ইমরান খান | সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার(এসসিও) সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানদের বার্ষিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত।
কর্মকর্তাদের বরাতে হিন্দুস্থান টাইমস বলছে, বিধিমালা ও কনভেনশন অনুসারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী নাকি তাদের অন্য প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেবেন সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব পাকিস্তানের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকের আগে এখনো অনেক সময় পড়ে আছে। এর আগেও এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে যে এসসিও’র প্রধানদের সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও উপস্থিত হয়েছিলেন।
প্রথমবারের মতো চলতি বছরে এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ হচ্ছে ভারত। সোমবার নয়াদিল্লিতে এসসিও’র মহাসচিব ভ্লাদিমির নোরোভ সাংবাদিকদের এমন দাবি করেছেন।
চারদিনের সফরে রোববার নয়াদিল্লিরতে আসেন নোরোভ। এসময় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
তবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অংশ নেবে কিনা, তা পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি।
নোরোভ বলেন, চলতি বছরে সংস্থাটির প্রধানদের সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। এতে সব সদস্য দেশই খুশি। এতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৭ সালের জুনে সংস্থাটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় ভারত ও পাকিস্তান। ২০০১ সালে সাংহাইয়ে রাশিয়া, চীনা, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টদের সম্মেলনে এসসিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
| সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার(এসসিও) সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানদের বার্ষিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত। |
ট্রাম্পকে নিয়ে রসিকতায় মাতলেন আসাদ-পুতিন (ভিডিও) | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় মেতে উঠেছেন সিরিয়ার প্রেসিডন্ট বাসার আল-আসাদ ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতার রসিকতার মুহূর্তটি তাদের অজান্তেই ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোর মঙ্গলবার রাশিয়া ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট দেখা করেন। দামেস্কোর ভার্জিন ম্যারিতে অর্থোডক্স চার্চে ট্রাম্প প্রসঙ্গে কথা বলেন এই দুই নেতা।
আসাদ বলেন, ট্রাম্পের উচিত যিশুখ্রিস্টের এক শিষ্যের পদক্ষেপ অনুসরণ করা। তাতে সবকিছুই তার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আসাদের এই কথায় হাসতে থাকেন পুতিন। বলেন, ট্রাম্পের উচিত এই প্রস্তাব গ্রহণ করা।
রাশিয়ান-১ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে হাসাহাসি করছেন পুতিন। আসাদ তাকে খ্রিস্ট ধর্মপ্রচারক সেন্ট পলের বিষয়ে ব্যাখ্যাও দিচ্ছিলেন।
প্রথম জীবনে খ্রিস্টধর্মের প্রতি বিদ্বেষী ছিলেন সেন্ট পল। তার আগের নাম ছিল শৌল। তিনি খ্রিস্টানদের প্রতি অত্যাচার করতেন। কিলিকিয়ার তার্য শহরে তার জন্ম, এই শহরেই তার বেড়ে ওঠা। শিক্ষক গমলিয়েলের কাছে তিনি ইহুদিধর্ম সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করেন।
কঠোরভাবে নিজের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতেন পল। যিশুর পথে যারা চলতেন তিনি তাদের অত্যাচার করে হত্যা করতেন।
ইহুদি মহাপুরোহিত ও ধর্ম নেতাদের আদেশে খ্রিস্টানদের বন্দি করতে তিনি দামেস্ক শহর থেকে জেরুজালেম শহরে যাচ্ছিলেন। দুপুর বেলা। দামেস্কোর কাছাকাছি আসলে হঠাৎ তার চারদিকে স্বর্গ থেকে উজ্জ্বল আলো পড়লে তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন।
তিনি শুনতে পেলেন কেউ যেন তাকে বলছেন‚ শৌল, শৌল, কেন তুমি আমাকে কষ্ট দিচ্ছ? তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, প্রভু আপনি কে? তিনি বললেন, আমি নাসরতের যিশু; যাকে তুমি কষ্ট দিচ্ছ।
তখন শৌল বললেন, প্রভু আমি কি করব? প্রভু বললেন, ওঠ দামেস্কে যাও, তোমার জন্য যা ঠিক করে রাখা হয়েছে; তা সেখানেই তোমাকে বলা হবে।
তখন তার সঙ্গীরা তাকে দামস্ক নিয়ে গেলেন। কেননা তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। পরে সাধু অ্যানানেইয়াস নামে একজন খ্রিস্টভক্ত তার কাছে এলেন। তিনি তার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ভাই শৌল, তোমার দেখবার শক্তি ফিরে আসুক।
আর তখনই পল দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন। অ্যানানেইয়াস আরও বললেন, যিশু তোমাকে বেছে নিয়েছেন, তুমি তারই সাক্ষী হবে এবং যা দেখেছ ও শুনেছ সব মানুষের তা তা বলবে। এরপর সেন্ট পল খ্রিস্টধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোর যে ফটকে অ্যানানেইয়াস তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, সেখানেই রাশিয়া ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট দেখা করেন। দামেস্কোর ভার্জিন ম্যারিতে অর্থোডক্স চার্চে পুতিনের পরিদর্শনের সময় হাসতে হাসতে আসাদ বলেন, যদি ট্রাম্প এই পথ দিয়ে আসেন, তবে সবকিছুই তার সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জবাবে রসিকতা করে পুতিন বলেন, ট্রাম্পের উচিত এই প্রস্তাব গ্রহণ করা। যদি তিনি সেটা না করেন, তবে দেশটিতে সফরে গিয়ে তিনি তাকে তা বোঝাবেন।
টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পুতিন বলছেন— এটা ঠিক হয়ে যাবে... তাকে আমন্ত্রণ করেন। তিনি আসবেন।
যখন আসাদ বলেন, তিনি ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত। মুচকি হেসে পুতিন বলেন, আমি তাকে বলবো। মধ্যপ্রাচ্যে সফরের মধ্যেই সিরিয়া সফরে যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
| মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় মেতে উঠেছেন সিরিয়ার প্রেসিডন্ট বাসার আল-আসাদ ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতার রসিকতার মুহূর্তটি তাদের অজান্তেই ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। |
ভূমধ্যসাগর থেকে শতাধিক সিরীয় শরণার্থী উদ্ধার | ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ উপকূল থেকে শতাধিক সিরীয় শরণার্থীকে মঙ্গলবার উদ্ধার করেছেন উদ্ধার কর্মীরা।
সাইপ্রাসের পুলিশ জানিয়েছে, তাদের একটি টহল জাহাজ দেশটির পর্যটন শহর প্রোতারাস থেকে ১৮ নটিক্যাল মাইল দূরে ভূমধ্যসাগরে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা ডুবে যেতে দেখে সেখান থেকে ১০১ সিরীয় শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। খবর আরব নিউজের।
উদ্ধার করা শরণার্থীরা জানান, তারা তুরস্কের মেরসিন বন্দর থেকে নৌকায় করে মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
উদ্ধার করা শরণার্থীদের মধ্যে ৮৮ পুরুষ, ছয় নারী ও সাত শিশু রয়েছে। এদের সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়ার বাইরে একটি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
| ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ উপকূল থেকে শতাধিক সিরীয় শরণার্থীকে মঙ্গলবার উদ্ধার করেছেন উদ্ধার কর্মীরা। |
টিউলিপ আবারও ব্রিটেনের ছায়া উপমন্ত্রী | আবারও ব্রিটেনের ছায়া উপমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক এমপি।
এর আগেও তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিরোধী দল লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভায় তিনি শ্যাডো আর্লি ইয়ার্স মিনিস্টার নিযুক্ত হন।
ব্রিটেনের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হন ৩৭ বছর বয়সী টিউলিপ।
লন্ডনে জন্ম নেয়া টিউলিপ ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে যুক্ত হন ব্রিটিশ রাজনীতিতে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে টিউলিপ ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
তিনি ক্যামডেন কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলর। ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শফিক সিদ্দিক এবং শেখ রেহানা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে টিউলিপ দ্বিতীয়।
ব্রিটেনজুড়ে যে পাঁচ-ছয়টি আসনে জয়-পরাজয় নিয়ে ভোটার ও ব্রিটিশ গণমাধ্যমের উন্মুখ দৃষ্টি থাকে, তার মধ্যে হ্যামস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন একটি।
নব্বইয়ের দশক থেকে এই আসনটি ব্রিটেনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে।
ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের ফেলো টিউলিপ রেজোয়ানা সিদ্দিক ২০১৫ সালে এই আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট পান তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন।
| আবারও ব্রিটেনের ছায়া উপমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক এমপি। |
তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কুশপুত্তলিকা দাহ | ইরানের আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করে তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকিয়ারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন ইরানি বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই কূটনীতিকের অবয়বে একটি কার্ডবোর্ড কেটে সেটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সঙ্গে বৃটিশ পতাকাও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার তাকে তিন ঘণ্টা আটক করে রেখেছিলেন ইরানি কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রব যেটাকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
যদিও এই কূটনীতিক বলছেন, তিনি এমন একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন, যেটা ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে করা হয়েছিল বলে প্রচার করা হয়েছে। এতে তিনি মাত্র পাঁচ মিনিট উপস্থিত ছিলেন। ওই বিমান দুর্ঘটনায় চার ব্রিটিশ নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
এএফপির সাংবাদিক বলেন, মঙ্গলবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশপরা দুই শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। কালো চাদরপরা নারীরা এসময় ‘ব্রিটেন নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেন।
এদিকে ম্যাকেয়ারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানি বিচার বিভাগের মুখপাত্র।
চলতি মাসের শুরুতে ভুলবশত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভে অংশ নেয়ার পর শনিবার তাকে গ্রেফতার করে পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি দেয়ার অভিযোগ করেছেন ইরানি বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন ইসমাইলি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন এমন ব্যক্তিরা অবাঞ্ছিত বা পারসোনা নন গ্রাটা।
‘কাজেই তাকে বহিষ্কার করা হবে বলেই আশা করছেন ইরানি জনগণ এবং সেটা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনেই,’ বললেন ইসমাইলি।
| ইরানের আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করে তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকিয়ারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন ইরানি বিক্ষোভকারীরা। |
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্সের বাংলায় স্ট্যাটাস | আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন সিনেটর ও ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ বার্নি স্যান্ডার্স।
মার্কিন এ সিনেটর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলা ভাষায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যাতে তিনি লিখেছেন– ‘স্বাস্থ্যসেবা একটি মানবাধিকার।’
বুধবার দেয়া তার এই পোস্টে ৩ ঘণ্টায় দুই হাজার লাইক ও ৩০০ কমেন্ট পড়েছে এবং পোস্টটি শেয়ার করেছেন সাড়ে পাঁচশ' লোক। কমেন্টে তার প্রশংসা করছেন অনেকে। অনেক বাঙালিও এতে কমেন্ট করেছেন।খবর বিবিসির।
মহসিন মনসুর নামে এক বাঙালি লিখেছেন– ‘ধন্যবাদ। বার্নিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চাই। ফয়সাল তানিম নামে একজন লিখেছেন– ২০২০-এর জন্য বার্নি।
পলাশ সাহু নামে এক ভারতীয় বাঙালি লিখেছেন– আপনার এই কথায় সহমত পোষণ করি। আগামী মার্কিন নির্বাচনের জন্য শুভকামনা রইল। ইতি, একজন ভারতীয় বাঙালি।
বার্নি স্যান্ডার্স শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন এবং ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে যুদ্ধবিরোধী এবং নাগরিক অধিকারের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৯০ সালে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মার্কিন প্রতিনিধিসভার একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন স্যান্ডার্স।
২০০৭ সালে সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রতিনিধিসভায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুরুতে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত না হলেও কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তার বিতর্ক প্রচারিত হওয়ার পর হঠাৎই তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
| আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন সিনেটর ও ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ বার্নি স্যান্ডার্স। |
ইরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ‘অবাঞ্ছিত’ | ইরানে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকেয়ারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানি বিচার বিভাগের মুখপাত্র।
চলতি মাসের শুরুতে ভুলবশত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভে অংশ নেয়ার পর শনিবার তাকে গ্রেফতার করে পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি দেয়ার অভিযোগ করেছেন ইরানি বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন ইসমাইলি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন এমন ব্যক্তিরা অবাঞ্ছিত বা পারসোনা নন গ্রাটা।
‘কাজেই তাকে বহিষ্কার করা হবে বলেই আশা করছেন ইরানি জনগণ এবং সেটা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনেই,’ বললেন ইসমাইলি।
এদিকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির আইনে সম্মান দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করে রব ম্যাকিয়ারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন ইরানি বিক্ষোভকারীরা।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই কূটনীতিকের অবয়বে একটি কার্ডবোর্ড কেটে সেটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সঙ্গে বৃটিশ পতাকাও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে তাকে তিন ঘণ্টা আটক করে রেখেছিলেন ইরানি কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রব যেটাকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
যদিও এই কূটনীতিক বলছেন, তিনি এমন একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন, যেটা ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে করা হয়েছিল বলে প্রচার করা হয়েছে। এতে তিনি মাত্র পাঁচ মিনিট উপস্থিত ছিলেন। ওই বিমান দুর্ঘটনায় চার ব্রিটিশ নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
| ইরানে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকেয়ারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানি বিচার বিভাগের মুখপাত্র। |
রোহিঙ্গা গণহত্যায় আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ ২৩ জানুয়ারি | জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) আগামী ২৩ জানুয়ারি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করবে।
গাম্বিয়ার আইন মন্ত্রণালয় সোমবার এক টুইটবার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে। ২০১৯ সালের ১০-১২ ডিসেম্বর এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত ওই আদালতে শুনানি হয়। খবর রয়টার্সের।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালায়।
সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদী বৌদ্ধরা হত্যা, গণধর্ষণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা করে গাম্বিয়া।
মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত যাতে আরও তীব্রতর না হয়- এ জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আদালতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করা দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তার দাবি, এ বিষয়ে মামলা পরিচালনার এখতিয়ার জাতিসংঘের আদালতের নেই। গণহত্যার অভিযোগ খারিজ করতে বিচারককে তিনি আহ্বান জানান।
| জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) আগামী ২৩ জানুয়ারি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করবে। |
ইউক্রেনের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্য ধারণকারী আটক (ভিডিও) | তেহরানে ‘ভুলবশত’ ইউক্রেনের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্যের ভিডিও ধারণকারীকে আটক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টতার কোনো অভিযোগ আনা হবে তার বিরুদ্ধে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় কেবল একজনকে দায়ী করা উচিত হবে না। এটা সচরাচর কোনো ঘটনা না, সারা বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।-খবর সিএনএনের
ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেন ইসমাইলির উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ফারস মঙ্গলবার জানিয়েছে, এই বিধ্বস্তের ঘটনায় একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আটক করাও হয়েছে। কতজন আটক কিংবা তাদের ভূমিকা কী, তা বিস্তারিত বলা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।
এদিকে তাসনিমের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার দৃশ্যের ভিডিও ধারণকারীও আটকদের মধ্যে রয়েছেন। এতে ব্যক্তিদের নাম ও তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, এ বিষয়ে কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের ৭৫২ ফ্লাইটটি ভূপাতিত করার ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের শাস্তির কথা বলেছেন রুহানি। ঘটনার তদন্তে কয়েক ডজন বিশেষজ্ঞ ও উচ্চপদ মর্যাদার বিচারকদের নিয়ে একটি বিশেষ আদালত গঠনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
রুহানি আরও বলেন, কেবল একক ব্যক্তি এই ঘটনায় কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। অন্যরাও রয়েছেন।
ইরানি গণমাধ্যম বলছে, বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করা ব্যক্তিকে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আটক করেছে।
কিন্তু প্রাথমিকভাবে ভিডিওটি পোস্ট করা লন্ডনভিত্তিক ইরানি সাংবাদিক জোর দিয়ে বলেছেন, তার সূত্র নিরাপদ রয়েছেন। ইরানি কর্তৃপক্ষ ভুল ব্যক্তিকে আটক করেছে।
গত বুধবার ভোরে তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ছয় মিনিট পর ইউক্রেন এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজাটি বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহী ১৭৬ জনের সবাই নিহত হন। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন ইরান ও কানাডার নাগরিক।
প্রথমে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে দাবি করে ইরান। কিন্তু উড়োজাহাজটি ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন ইরানের কর্মকর্তারা তা ডাহা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে বলছিলেন– যান্ত্রিক ত্রুটিতেই দুর্ঘটনায় পড়ে ওই উড়োজাহাজটি।
ঘটনার তিন দিন পর শনিবার ‘ভুল করে’ উড়োজাহাজটি ভূপাতিতের কথা স্বীকার করে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে ইরান কর্তৃপক্ষ। এর পরই বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে ইরানে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটির তথ্যপ্রমাণ বেরিয়ে আসতে থাকার মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পরিচালনায় যারা আছেন, তারা উড়োজাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভেবে ভুল করে সেটির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন।
মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি হত্যার পর এ বদলা নিয়ে ইরান ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকেই দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগ উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
| তেহরানে ‘ভুলবশত’ ইউক্রেনের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্যের ভিডিও ধারণকারীকে আটক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টতার কোনো অভিযোগ আনা হবে তার বিরুদ্ধে। |
বাড়িতে স্বামীর মরদেহ বরফচাপা, ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী | ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রিজেন্ট কলোনিতে এক বৃদ্ধ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন নাকি তিনি স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন; তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
সমীররঞ্জন সুর নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে খুনের সম্পর্ক নেই বলে দাবি স্থানীয় পুলিশের। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শারীরিক সমস্যাজনিত মৃত্যু হয়েছে তার।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন ভিন্নকথা। তাদের দাবি, সোমবার রাতে একটা বড় থার্মোকলের বাক্সে করে বরফ নিয়ে সমীররঞ্জনের শ্যালক বিশ্বনাথ দাসকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখা গেছে।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ওই বৃদ্ধ খুন হয়েছেন। মরদেহটি উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল; তা তিন দিন আগের।
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, তিন দিনের নয়, বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে গত মঙ্গলবার দুপুরে। পুলিশ বলছে, গত কয়েক বছর ধরেই অসুস্থতার দরুণ শয্যাশায়ী ৬৮ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ। তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, সমীররঞ্জনের স্ত্রী ও মেয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে শিমলায় বেড়াতে যাওয়ায় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বৃদ্ধ।
তাদের অভিযোগ, খুন করে তাকে বরফচাপা দিয়ে রাখেন তার শ্যালক বিশ্বনাথ দাস। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মৎস্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়— এমন এক টুকরো বরফ নিয়ে সমীররঞ্জনের বাড়িতে বিশ্বনাথকে ঢুকতে দেখেন তারা।
| ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রিজেন্ট কলোনিতে এক বৃদ্ধ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন নাকি তিনি স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন; তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। |
ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানে বেশ কয়েকজন আটক | তেহরানে ‘ভুলবশত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে এ দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেন ইসমাইলির উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ফারস মঙ্গলবার জানিয়েছে, এই বিধ্বস্তের ঘটনায় একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আটক করাও হয়েছে। কতজন আটক কিংবা তাদের ভূমিকা কী— তা বিস্তারিত বলা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।
এদিকে তাসনিমের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার দৃশ্যের ভিডিও ধারণকারীও আটকদের মধ্যে রয়েছেন।
এতে ব্যক্তিদের নাম ও তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, এ বিষয়ে কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের ৭৫২ ফ্লাইটটি ভূপাতিত করার ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের শাস্তির কথা বলেছেন রুহানি। ঘটনার তদন্তে কয়েক ডজন বিশেষজ্ঞ ও উচ্চপদস্থ বিচারকদের নিয়ে একটি বিশেষ আদালত গঠনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি সাধারণ কোনো ঘটনা না। এই বিচার দেখতে সারাবিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
গত বুধবার ভোরে তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ছয় মিনিট পর ইউক্রেন এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজাটি বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহী ১৭৬ জনের সবাই নিহত হন। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন ইরান ও কানাডার নাগরিক।
প্রথমে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে দাবি করে ইরান। কিন্তু উড়োজাহাজটি ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র।
তখন ইরানের কর্মকর্তারা তা ডাহা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে বলছিলেন— যান্ত্রিক ত্রুটিতেই দুর্ঘটনায় পড়ে ওই উড়োজাহাজটি।
ঘটনার তিন দিন পর শনিবার ‘ভুল করে’ উড়োজাহাজটি ভূপাতিতের কথা স্বীকার করে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে ইরান কর্তৃপক্ষ। এর পরই বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে ইরানে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটির তথ্যপ্রমাণ বেরিয়ে আসতে থাকার মধ্যে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পরিচালনায় যারা আছেন, তারা বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভেবে ভুল করে সেটির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন।
মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি হত্যার পর এ বদলা নিয়ে ইরান ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকেই দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগ উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
| তেহরানে ‘ভুলবশত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে এ দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। |
উত্তেজনার মধ্যেই ভারতে আসছেন ট্রাম্প! | বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
মোদির সেই আমন্ত্রণে ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ট্রাম্প ভারত সফরের ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
তবে ঠিক কবে ট্রাম্প ভারত সফরে আসছেন সে তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি।
হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এনডিটিভি আরো জানায়, অভিশংসন প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির তারিখ এখনো ঠিক হয়নি বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা যায়নি।
তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ হোয়াইট হাউজ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
ট্রাম্পের ভারত সফর নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের অভিশংসন ভোটাভুটির তারিখ ঘোষিত হলেও ভারত সফর নিয়ে ভাববেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ট্রাম্প আসার কথা থাকলেও পরে ওই সফর বাতিল হয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা সে সময় জানিয়েছিলেন, একটি রাষ্ট্রীয় জরুরি ভাষণের দিন নির্ধারিত হওয়ায় ওই সময় ভারত সফর বাতিল করেন ট্রাম্প।
এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতের প্রজাতন্ত দিবসের কুচকাওয়াজে এসেছিলেন।
| বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। |
ধেয়ে আসছে তুষারের পাহাড়, ভয়ে পালাচ্ছেন পর্যটকরা (ভিডিও) | গত তিন দিন ধরে ভারতনিয়ন্ত্রিত উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ভারী তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি তুষারধসও নেমেছে।
মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার মাচিল সেক্টরে হঠাৎ তুষার ধসে চাপা পড়ে যায় একটি সেনা চৌকি।
বেশ কয়েকজন সেনাসদস্যকে উদ্ধার করা গেলেও এই ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
এবার কাশ্মীরে টানা তুষারপাতের সেই একই দৃশ্য ধরা পড়ল পর্যটকদের ক্যামেরায়।
এছাড়া দেশটির নাভেদ ট্রুম্বু নামে এক সরকারি কর্মকর্তাও সেই দৃশ্য তার মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্যে দেখা গেছে, হিমাচল প্রদেশের টিঙ্কু নালায় ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ছুটে আসছে তুষার ধস। পাহাড় থেকে গড়িয়ে রাস্তায় নেমে আসছে বিশাল তুষারের স্তুপ। ওই দৃশ্য কিছু পর্যটক কামেরাবন্দি করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে অনেকে চিৎকার করে সাবধান করেন।
ভিডিওটি দেখুন-
এদিকে তুষারধসের সতর্কবার্তা জারি করেছে হিমাচলপ্রদেশ সরকার।
তারা জানিয়েছেন, অঞ্চলটির কুলু, সিমলা, লাহুল-স্ফিতি, কিন্নুরকেতে তুষার ধসের সম্ভাবনা প্রবল। তাই ওই অঞ্চলগুলোতে পর্যটকদের সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।
| গত তিন দিন ধরে ভারতনিয়ন্ত্রিত উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ভারী তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি তুষারধসও নেমেছে। |
দীপিকার জীবনে আমার মতো লোকের প্রয়োজন: রামদেব | বাবা রামদেব ভারতের একজন প্রখ্যাত যোগব্যায়াম গুরু। শরীর চর্চ্চার প্রশিক্ষণের অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি ভারতীয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হন।
এবার ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে দীপিকার বক্তব্য বিষয়ে মুখ খুললেন এই যোগব্যায়াম গুরু।
তিনি বলেন, ‘দীপিকা একজন ভালো অভিনেত্রী। কিন্তু তার জীবনে স্বামী রামদেবের মত একজন ব্যক্তির ভীষণ প্রয়োজন। যে তাকে সব বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে।’
এ কথা বলেই ক্ষান্ত হননি বাবা রামদেব।
তিনি আরো বলেন, ‘দীপিকার উচিত প্রথমে দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আরো পড়াশোনা করা, তারপর এ নিয়ে কথা বলা।’
তিনি যোগ করেন, ‘ভারতের মোদি সরকার গৃহীত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতি সমর্থন ও সম্মান জানাই। সরকার ঠিকভাবেই এগুচ্ছেন। এতে আমাদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।’
এই আইনের বিরোধিতাকারীদের একহাত নেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যারা সিএএ-র পুরো নামটাই বলতে পারবে না, তারাও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন যে এই আইনে কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হবে না। তার পরেও অনেকে কেন বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়। ’
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের ওপর মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বলি সেলিব্রেটিরা।
অন্যদের মতো নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। ওই ঘটনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় মাথা ফেটে আহত হন বাম ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী ঐশি ঘোষ।
ঘটনার দুদিন পর ঐশী ঘোষকে সহানুভূতি জানাতে আসেন দীপিকা। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে দীপিকা বলেন, ‘আমার ভয় করছে। দুঃখও হচ্ছে। এটি আমাদের দেশের ভিত্তি নয়। আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে যে, এ ঘটনা থামাতে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এখনও নেয়া হচ্ছে না।’
এমন মন্তব্যের পর পর ক্ষমতাসীন বিজেপির তোপের মুখে পড়েন দীপিকা। টুইটারে দীপিকাকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র তাজিন্দর সিংহ বাগ্গা। দীপিকার নতুন ছবি ‘ছপাক’-এর টিকিট বাতিলের হিড়িক পড়ে গেছে গেরুয়া শিবিরে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দীপিকাকে।
অনেকেই বলেছেন, দীপিকা তার ছবির প্রচারেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন।
আবার দীপিকার সমর্থনে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউড পরিচালক প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপ। ‘দীপিকা ভারতের পুরুষের থেকেও শক্তিশালী’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত ভারতের এই যোগব্যায়াম গুরু টেলিভিশনে ব্যায়াম শেখানোর পাশাপাশি নানা ধরনের পণ্যও বিক্রি করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে শ্যাম্পু থেকে সিরিয়াল, সাবান থেকে ইনস্ট্যান্ট নুডলস।
এজন্যে তিনি পাতাঞ্জলি নামে একটি কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করেছেন।
| বাবা রামদেব ভারতের একজন প্রখ্যাত যোগব্যায়াম গুরু। শরীর চর্চ্চার প্রশিক্ষণের অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি ভারতীয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হন। |
সমালোচনা কেন হচ্ছে কারণ খুঁজে পাচ্ছি না: পাপন | বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন ক্রিকেট কূটনীতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে হেরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তা মানতে নারাজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মঙ্গলবার দুবাইয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানরা সফর নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। আইসিসি সভাপতি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশ দল জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল- এই তিন মাসে তিনবার পাকিস্তান সফর করবে। যে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ইস্যুতে একবারের জন্যও পাকিস্তান সফরে যেতে চায়নি অথচ এখন তিন মাসে তিনবার পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়েছেন বিসিবি সভাপাতি। এতে ক্রিকেট কূটনীতিগত পরাজয় দেখছেন বিশ্লেষকরা।
তবে তা মানতে নারাজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, আমরা বলেছি শুধু টি-টোয়েন্টি খেলে চলে আসতে চাই। তারপর একটা সময় (টেস্ট খেলতে) যাব। পাকিস্তানে গিয়ে তাদের মাঠে টেস্ট খেলার আগে আমাদের একটা প্র্যাক্টিস ম্যাচ দরকার। ওরা বলেছিল টি-টোয়েন্টি করা যায় কি না। টি-টোয়েন্টি হলে তাদের আর্থিক ক্ষতি (আয়) কিছুটা পোষাবে। তিনবার সফরে গেলে ওদের অনেক খরচ বাড়বে। হাতে পর্যাপ্ত সময়ও নেই যে ওরা মার্কেটিং করতে পারবে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে টি-টোয়েন্টির চেয়ে একটা ওয়ানডে ম্যাচ হলে অনুশীলনটা ভালো হবে।
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বুধবার বেলা ১১টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পাপন বলেন, আমি জানি না লোকজন কেন পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনীতিগত পরাজয়ের কথা বলছেন। কেন সমালোচনা হচ্ছে তার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না। আমার কাছে এটা অদ্ভুত লাগছে। ওরা কখনই বলেনি, আমরা টি-টোয়েন্টি খেলে আসব। ওরা প্রথমে বলেছে ফুল সিরিজ খেলতে হবে। পরে বলেছে আগে টেস্ট খেলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেটা বলেছি, আমার মনে হয় এটাই হয়েছে। আমি প্রথম মিডিয়াতে বলেছি যে, আমরা প্রথমে যাব টি-টোয়েন্টি খেলে আসব। পরে টেস্ট খেলব। সেটাই তো হচ্ছে।
আগামী ২৪ জানুয়ারি লাহোরে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটি হবে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি।
এরপর সফরে গিয়ে ৭-১১ ফ্রেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল।
তৃতীয় দফায় সফরে গিয়ে ৩ এপ্রিল করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে আর ৫-৯ এপ্রিল করাচিতে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
| বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন ক্রিকেট কূটনীতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে হেরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তা মানতে নারাজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। |
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চট্টগ্রামকে বিদায় করে ফাইনালে রাজশাহী | আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং তাণ্ডবে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়ে ফাইনালে উন্নিত রাজশাহী রয়েলস। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করল রাজশাহী। আগামী ১৭ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলায় ফাইনাল ম্যাচে রাজশাহীর প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানে আফিফ হোসেন, লিটন কুমার দাস ও অলক কাপালির উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। এরপর চতুর্থ উইকেটে শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। ৩ উইকেটে ৮০ রান করা রাজশাহী। এরপর আবারও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায়।
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্দ্রে রাসেল যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ৪০ বলে ৮৩ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেটে সেট হওয়ার আগেই দলকে জয় উপহার দিতে তাণ্ডব শুরু করেন।
জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ৭৬ রান।
১৬তম ওভারে দুই ছক্কা আর এক চার হাঁকিয়ে রুবেল হোসেনের কাছ থেকে ১৯ রান আদায় করে নেন রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ঠিক পরের ওভারে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান নওয়াজ ছক্কা হাঁকিয়ে ওভার শুরু করলেও তৃতীয় বলে আউট হন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ছক্কা হাঁকিয়ের পরের বলে আউট হন ফরহাদ রেজা।
জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। চলতি বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করা মেহেদী হাসান রানা ১৯তম ওভারে খরচ করেন ২৩ রান। তার বলে দুটি ছক্কা ও দুটি চার হাঁকান রাসেল। শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য রাজশাহীর দরকার ছিল মাত্র ৮ রান।
গুনারত্নে প্রথম দুই বলে কোনো রান দেননি। তৃতীয় বলে দেন ওয়াইড। ঠিক পরের বলে নো বল দেন আর সেই বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন আন্দ্রে রাসেল। দলের জয়ে মাত্র ২২ বলে ৭টি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা আর দুই চারের সাহায্যে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন আন্দ্রে রাসেল।
এর আগে ক্রিস গেইলের ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ১৬৪ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন গেইল।
বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ওপেনার জিয়াউর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া দেশের এ তারকা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। জিয়া-ইমরুল ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন গেইল। মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় বিপিএল চলতি আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।
তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি গেইল। আফিফ হোসেনের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান গেইল। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। তার স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেনের গেইল।
২ উইকেটে ৯৭ রান করা চট্টগ্রাম এরপর খেই হারিয়ে ফেলে। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে গেইল-মাহমুদউল্লাহ-নুরুল হাসান সোহান এবং চাঁদউইক ওয়ালটনের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে গেইল আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন রিয়াদ।
শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই প্রতিরোধ গড়েন চট্টগ্রামের শ্রীলংকান ক্রিকেটার অ্যাশলে গুনারত্নে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। ৯ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দলটির দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (গেইল ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, গুনারত্নে ৩১; নওয়াজ২/১৩, ইরফান ২/১৬/)।
রাজশাহী রয়েল: ১৯.২ ওভারে ১৬৫/৮ (রাসেল ৫৪*, ইরফান শুক্কর ৪৫)।
ফল: রাজশাহী রয়েলস ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী রয়েলস)।
| আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং তাণ্ডবে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়ে ফাইনালে উন্নিত রাজশাহী রয়েলস। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করল রাজশাহী। আগামী ১৭ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলায় ফাইনাল ম্যাচে রাজশাহীর প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স। |
৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে রাজশাহী | ১৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে রাজশাহী রয়েলস। বিপিএল ফাইনালে ওঠার ম্যাচে মাত্র ১৪ রানে দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও লিটন কুমার দাসের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলকে বিপদমুক্ত করার আগেই সজঘরে ফেরেন অলক কাপালি। ৩৪ রানে নেই টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজশাহীর সংগ্রহ ৬ ওভারের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান। ২০ রানে ব্যাট করছেন ইরফান শুক্কর। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন শোয়েব মালিক।
চট্টগ্রাম ১৬৪/৯
জিতলেই বিপিএলের ফাইনালে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ক্রিস গেইল। তার ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিং একটা সময়ে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
কিন্তু ২ উইকেটে ৯৭ রান করা দলটি এরপর ২৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন গেইল। বিপিএল সাত আসরের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে ভালো বোলিং করতে হবে চট্টগ্রামকে।
অন্যদিকে রাজশাহী রয়েলকে বিপিএলে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে হলে ১৬৫ রান করতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল রাজশাহী কিংস।
বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ওপেনার জিয়াউর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া দেশের এ তারকা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। জিয়া-ইমরুল ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন গেইল। মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় বিপিএল চলতি আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।
তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি গেইল। আফিফ হোসেনের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান গেইল। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। তার স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেনের গেইল।
২ উইকেটে ৯৭ রান করা চট্টগ্রাম এরপর খেই হারিয়ে ফেলে। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে গেইল-মাহমুদউল্লাহ-নুরুল হাসান সোহান এবং চাঁদউইক ওয়ালটনের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে গেইল আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন রিয়াদ।
শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই প্রতিরোধ গড়েন চট্টগ্রামের শ্রীলংকান ক্রিকেটার অ্যাশলে গুনারত্নে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। ৯ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দলটির দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (গেইল ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, গুনারত্নে ৩১; নওয়াজ২/১৩, ইরফান ২/১৬/)।
প্রসঙ্গত, আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা আগামী ১৭ জানুয়ারি মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনালে খেলবে।
চট্টগ্রাম
জিতলেই বিপিএলের ফাইনালে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ক্রিস গেইল। তার ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিং একটা সময়ে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
কিন্তু ২ উইকেটে ৯৭ রান করা দলটি এরপর ২৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন গেইল। বিপিএল সাত আসরের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে ভালো বোলিং করতে হবে চট্টগ্রামকে।
অন্যদিকে রাজশাহী রয়েলকে বিপিএলে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে হলে ১৬৫ রান করতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল রাজশাহী কিংস।
বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ওপেনার জিয়াউর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া দেশের এ তারকা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। জিয়া-ইমরুল ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন গেইল। মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় বিপিএল চলতি আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।
তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি গেইল। আফিফ হোসেনের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান গেইল। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। তার স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেনের গেইল।
২ উইকেটে ৯৭ রান করা চট্টগ্রাম এরপর খেই হারিয়ে ফেলে। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে গেইল-মাহমুদউল্লাহ-নুরুল হাসান সোহান এবং চাঁদউইক ওয়ালটনের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে গেইল আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন রিয়াদ।
শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই প্রতিরোধ গড়েন চট্টগ্রামের শ্রীলংকান ক্রিকেটার অ্যাশলে গুনারত্নে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। ৯ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দলটির দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (গেইল ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, গুনারত্নে ৩১; নওয়াজ২/১৩, ইরফান ২/১৬/)।
প্রসঙ্গত, আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা আগামী ১৭ জানুয়ারি মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনালে খেলবে।
| ১৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে রাজশাহী রয়েলস। বিপিএল ফাইনালে ওঠার ম্যাচে মাত্র ১৪ রানে দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও লিটন কুমার দাসের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলকে বিপদমুক্ত করার আগেই সজঘরে ফেরেন অলক কাপালি। ৩৪ রানে নেই টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট। |
গেইল তাণ্ডবের পরও ১৬৪ রানে থামল চট্টগ্রাম | জিতলেই বিপিএলের ফাইনালে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ক্রিস গেইল। তার ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিং একটা সময়ে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
কিন্তু ২ উইকেটে ৯৭ রান করা দলটি এরপর ২৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন গেইল। বিপিএল সাত আসরের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে ভালো বোলিং করতে হবে চট্টগ্রামকে।
অন্যদিকে রাজশাহী রয়েলকে বিপিএলে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে হলে ১৬৫ রান করতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল রাজশাহী কিংস।
বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ওপেনার জিয়াউর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া দেশের এ তারকা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। জিয়া-ইমরুল ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন গেইল। মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় বিপিএল চলতি আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।
তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি গেইল। আফিফ হোসেনের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান গেইল। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। তার স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেনের গেইল।
২ উইকেটে ৯৭ রান করা চট্টগ্রাম এরপর খেই হারিয়ে ফেলে। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে গেইল-মাহমুদউল্লাহ-নুরুল হাসান সোহান এবং চাঁদউইক ওয়ালটনের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে গেইল আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন রিয়াদ।
শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই প্রতিরোধ গড়েন চট্টগ্রামের শ্রীলংকান ক্রিকেটার অ্যাশলে গুনারত্নে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। ৯ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দলটির দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (গেইল ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, গুনারত্নে ৩১; নওয়াজ২/১৩, ইরফান ২/১৬/)।
প্রসঙ্গত, আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা আগামী ১৭ জানুয়ারি মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনালে খেলবে।
| জিতলেই বিপিএলের ফাইনালে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালানক্রিস গেইল। তারফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিং একটা সময়ে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। |
ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে সাজঘরে গেইল-রিয়াদ | জিতলে সোজা ফাইনালে। আর হারলে বিদায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ তারকা ব্যাটসম্যান।
বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ওপেনার জিয়াউর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া দেশের এ তারকা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। জিয়া-ইমরুল ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন গেইল। মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় বিপিএল চলতি আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।
তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি গেইল। আফিফ হোসেনের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান গেইল। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। তার স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেরেন গেইল।
দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে গেইল আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৭ বলে তিন চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন রিয়াদ।
আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা আগামী ১৭ জানুয়ারি মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনালে খেলবে।
| জিতলে সোজা ফাইনালে। আর হারলে বিদায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ তারকা ব্যাটসম্যান। |
বিপিএল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম | জিতলে সোজা ফাইনালে। আর হারলে বিদায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-ইমরুল কায়েসদের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী রয়েলসের ক্যারিবীয় অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া দেশের এ তারকা অলরাউন্ডার। দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ফেরেন জিয়া। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।
এর আগে প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়েলসকে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠে যায় মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগার্স। আগামী ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় মিরপুর শেরেবাংলায় বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: জিয়াউর রহমান, ক্রিস গেইল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, নুরুল হাসান সোহান, চাদউইক ওয়ালটন, রুবেল হোসেন, নাসুম আহমেদ, রায়াত এমরিত, মেহেদী হাসান রানা ও অ্যাশলে গুনারত্নে।
রাজশাহী রয়েলস: লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন, অলক কাপালি, শোয়েব মালিক, আন্দ্রে রাসেল, ইরফান শুক্কর, ফরহাদ রেজা, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু জায়েদ রাহী, মোহাম্মদ নওয়াজ ও মোহাম্মদ ইরফান।
| জিতলে সোজা ফাইনালে। আর হারলে বিদায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-ইমরুল কায়েসদের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। |
বাংলাদেশ সিরিজে বাদ পড়ছেন যে তিন পাকিস্তানি | বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে আগামী সপ্তাহে দল ঘোষণা করবে পাকিস্তান। তবে আসন্ন এ সিরিজে দল থেকে বাদ পড়তে পারেন পাকিস্তানের তিনজন তারকা ক্রিকেটার। তার মধ্যে রয়েছেন পেস বোলার মোহাম্মদ ইরফান। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রাজশাহী রয়েলসের হয়ে খেলছেন।
বিপিএল ফাইনাল শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৪ জানুয়ারি। সেই হিসাবে বিপিএল ফাইনালে খেললেও বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে হোম সিরিজে খেলতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় ইরফানের।
পাকিস্তানের হয়ে সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ‘কি প্লেয়ার’ ছিলেন মোহাম্মদ ইরফান, আসিফ আলী এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল। অথচ বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাদ পড়তে পারেন তারা। খবর ক্রিকেট পাকিস্তান ডটকম।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিটনেস টেস্টে ভালো করতে পারলে বাংলাদেশ সিরিজে দলে ফিরতে পারেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।
অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে দুর্দান্ত পারফরম করা তরুণ পেসার হারিস রউফকে অভিষেক করানো হতে পারে বাংলাদেশ সিরিজে। পাকিস্তানের বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস বিগ ব্যাশে হারিসের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ।
| বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে আগামী সপ্তাহে দল ঘোষণা করবে পাকিস্তান। তবে আসন্ন এ সিরিজে দল থেকে বাদ পড়তে পারেন পাকিস্তানের তিনজন তারকা ক্রিকেটার। তার মধ্যে রয়েছেন পেস বোলার মোহাম্মদ ইরফান। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রাজশাহী রয়েলসের হয়ে খেলছেন। |
পাকিস্তানের আর্থিক ক্ষতিপূরণ করতেই ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ | আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্লান অনুসারে পাকিস্তানের মাঠে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকায় লম্বা সময়ের জন্য পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ।
যে বাংলাদেশ পাকিস্তান সফরে একবারও যেতে রাজি হয়নি সেই তারাই এখন তিন মাসে তিনবার পাকিস্তান সফরে যাবে। শুধু তাই নয়, আগের টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট সিরিজের সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে একটি ওয়ানডে ম্যাচ।
নতুন করে ওয়ানডে ম্যাচ সংযোজন নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, আমরা যেহেতু তিন ধাপে সফরে যাব তাই তাদের অনেক বেশি খরচ হবে। স্বল্প সময়ে তারা পর্যাপ্ত মার্কেটিংও করতে পারবে না। পাকিস্তানের সেই আর্থিক ক্ষতি পূরণ করার জন্যই দ্বিতীয় টেস্টের আগে আরও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। আমারা প্রস্তুতি জোরদারের স্বার্থে টি-টোয়েন্টির পরিবর্তে ওয়ানডে খেলায় রাজি হয়েছি।
পাপন আরও বলেন, কথা ছিল একটি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলা যায় কিনা। কিন্তু আমরা বলেছি, এই মাসে টি-টোয়েন্টি খেলে চলে আসব। তারপর পরের মাসে একটি টেস্ট এবং ফাঁকা সময় দেখে এপ্রিলে আরেকটা টেস্ট খেলব।
তিন ধাপে পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, আমাদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল ও সরকার থেকেও নির্দেশনা এসেছে ওখানে যত কম অবস্থান করা যায় ততই ভালো। আইসিসির সভায়ও সবাই আমাদের প্রস্তাবকে যুক্তিযুক্ত মনে করেছে। অনেক দিন আমরা যাইনি, হঠাৎ করে এখন যাব তাই যাওয়া, পরিস্থিতি দেখার একটা ব্যাপার আছে।
দুবাইয়ের আইসিসি সভা শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বিসিবি সভাপতি দাবি করেছেন, বিসিবি যেভাবে চেয়েছে পাকিস্তান সফরকে সেভাবেই সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যেটা বলেছি, প্রথম থেকে সেটাই হয়েছে। আমি খুশি যে ব্যাপারটার একটা সমাধান এসেছে।
| আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্লান অনুসারে পাকিস্তানের মাঠে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকায় লম্বা সময়ের জন্য পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ। |
মায়ের বলে ব্যাট করছে ছেলে, ভিডিও শেয়ার করে যা বললেন কাইফ | রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যাট করছে ছোট্ট শিশু। অপরপ্রান্তে বল করছেন মা। আশপাশে দাঁড়িয়ে মা ছেলের ব্যাট-বলের অনুশীলন দেখছেন ক্রিকেট ভক্তরা। এই অসাধারণ মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেছেন ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফ।
এরকমই একটি ভিডিও সোমবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছেন ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান কাইফ। এরই মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরালও হয়ে গেছে। এ নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
২৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মা ছেলে দুজনের পোশাকই বেশ মলিন।রাস্তায় দাঁড়িয়ে বল করছেন মা। সবুজ রঙের প্লাস্টিকের ব্যাট নিয়ে প্রস্তুত ছেলে। তার দিকে প্লাস্টিকের বল ছুড়ে দিলেন মা। সেই বল গড়াতে গড়াতে আসতেই জোরে ব্যাট চালাচ্ছে বাচ্চাটি।ওই বল কুড়িয়ে এনে আবার বল ছুড়ছেন জননী।
এই ভিডিও আপলোড করে কাইফ লিখেছেন, মা বল করছেন, ছেলে ব্যাট করছে। এক কথায় অসাধারণ। এতে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। পাশাপাশি এটি দেখেছেন প্রায় ৭৪ হাজার টুইটার ব্যবহারকারী।
সূত্র: এনডিটিভি।
| রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যাট করছে ছোট্ট শিশু। অপরপ্রান্তে বল করছেন মা। আশপাশে দাঁড়িয়ে মা ছেলের ব্যাট-বলের অনুশীলন দেখছেন ক্রিকেট ভক্তরা। এই অসাধারণ মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেছেন ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফ। |
আইসিসির বর্ষসেরা পুরস্কার জিতলেন যারা | ক্রিকেটের বিভিন্ন বিভাগে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এ ছাড়া বর্ষসেরা আম্পায়ার, সেরা টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স এবং উদীয়মান ক্রিকেটারের তালিকাও প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
২০১৯ সালে বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেন বিগ বেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেডিংলি টেস্ট জিতিয়ে দলকে ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ ড্র করতে সহায়তা করেন তিনি। তাই বর্ষসেরা হিসেবে মর্যাদার স্যার গ্যারিফিল্ড সোবার্স ট্রফি পাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী এ ইংলিশ ক্রিকেটার।
আইসিসি বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের খেতাব জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স। গেল বছর মাত্র ১২ টেস্টে ৫৯ উইকেট শিকার করেন তিনি।
বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের টাইটেল জিতেছেন ভারতের হিটম্যান রোহিত শর্মা। আলোচিত সময়ে ২৮ ম্যাচে ৭ সেঞ্চুরিতে ১৪০৯ রান করেন তিনি।
আইসিসি ইমার্জিং ক্রিকেটার অব দি ইয়ার তথা সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার মার্নাস লাবুশানে। অভিষেকের পর থেকে রানবন্যা বইয়ে দিচ্ছেন তিনি। ২০১৯ সালে ১১ টেস্টে একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ ১১০৪ রান করেন অজি ব্যাটিং মায়েস্ত্রো।
বছরের সেরা টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের পেসার দীপক চাহার। গেল নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে নাগপুরে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নেন তিনি।
সহযোগী দেশের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন স্কটল্যান্ডের কাইল কোয়েটজার।
‘স্পিরিট অব দ্য ক্রিকেট’ পুরস্কার জিতেছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলীয় তারকা স্টিভ স্মিথকে দুয়ো দেয়ার সময় দর্শকদের নিষেধ করেন তিনি। বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়কও নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং মাস্টার।
এ ছাড়া সেরা আম্পায়ারের খেতাব ‘ডেভিড শেফার্ড ট্রফি’ পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ৫৬ বছর বয়সী আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ।
তথ্যসূত্র: আইসিসি ওয়েবসাইট।
| ক্রিকেটের বিভিন্ন বিভাগে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এ ছাড়া বর্ষসেরা আম্পায়ার, সেরা টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স এবং উদীয়মান ক্রিকেটারের তালিকাও প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। |
আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে নেই সাকিব | গেল বছর স্বপ্নীল এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট-বল হাতে আগুনে ফর্মে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। একাই টানেন বাংলাদেশ দলকে। ফলে ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনসহ ২০১৯ সালে বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে স্থান করে নেন তিনি।
কিন্তু উল্টো পথে হাঁটল বিশ্ব ক্রিকেটের নীতিনির্ধারণী সংস্থা আইসিসি। নিজেদের নির্বাচিত বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে সাকিব আল হাসানকে ঠাঁই দেননি তারা। শুধু তাই নয়, সেই দলে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারও নেই। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনিসহ দেশটির সর্বোচ্চ চার ক্রিকেটার রয়েছেন এই একাদশে। এ ছাড়া বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড থেকে আছেন দুজন করে।
অথচ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা সাকিব নেই। ক্রিকেটের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে আট ম্যাচে ৫ হাফসেঞ্চুরি ও ২ সেঞ্চুরিতে প্রায় ৮৭ গড়ে ৬০৬ রান করেন তিনি। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন টাইগার ক্রিকেটার। পাশাপাশি আইসিসির এই ইভেন্টে ১১ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার।
জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন রাখায় গেল বছরের ২৯ অক্টোবর সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেটে দুই বছর নিষিদ্ধ করে আইসিসি। অবশ্য এক বছর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বছর শেষে ১১ ম্যাচে ৯৩.২৫ গড়ে ৭৪৬ রান তার। পাশাপাশি ঝুলিতে রয়েছে ১৩ উইকেট।
আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। বর্ষসেরা ক্রিকেটারেরও পুরস্কার জিতেছেন তিনি। উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন তারই জাতীয় দলের সতীর্থ জস বাটলার।
একই সঙ্গে বুধবার বর্ষসেরা টেস্ট একাদশও ঘোষণা করেছে আইসিসি। সেখানে নেই কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার। সর্বোচ্চ ৫ জন রয়েছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড থেকে তিনজন এবং ইংল্যান্ড থেকে দুজন খেলোয়াড় এ একাদশে জায়গা পেয়েছেন। এ দলের দলনায়কের ভূমিকায় আছেন কোহলি। বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টেস্ট- উভয় একাদশেই রয়েছেন মাত্র তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন কোহলি, স্টোকস ও অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক।
আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ
রোহিত শর্মা (ভারত), শাই হোপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), বিরাট কোহলি (ভারত), বাবর আজম (পাকিস্তান), কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক, ইংল্যান্ড), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), মোহাম্মদ শামি (ভারত) ও কুলদ্বীপ যাদব (ভারত)।
আইসিসি বর্ষসেরা টেস্ট একাদশ
মায়াঙ্ক আগারওয়াল (ভারত), টম লাথাম (নিউজিল্যান্ড), মার্নাস লাবুশানে (অস্ট্রেলিয়া), বিরাট কোহলি (অধিনায়ক, ভারত), স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), বিজে ওয়াটলিং (উইকেটরক্ষক, নিউজিল্যান্ড), প্যাট কামিনস (অস্ট্রেলিয়া), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), নেইল ওয়াগনার (নিউজিল্যান্ড) ও নাথান লায়ন (অস্ট্রেলিয়া)।
তথ্যসূত্র: আইসিসি ওয়েবসাইট।
| গেল বছর স্বপ্নীল এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট-বল হাতে আগুনে ফর্মে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। একাই টানেন বাংলাদেশ দলকে। ফলে ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনসহ ২০১৯ সালে বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে স্থান করে নেন তিনি। |
পাকিস্তান সফর নিয়ে কূটনৈতিক পরাজয় হয়নি: পাপন | আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি এবং দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে নিরাপত্তা অজুহাতে সেখানে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে চেয়েছিলেন টাইগাররা। আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলার কথা জানান তারা।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এ প্রস্তাব পছন্দ হয়নি পাকিস্তানের। সম্প্রতি হোমগ্রাউন্ডে বেশ কয়েকটি ‘সফল’ সিরিজ আয়োজনের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে পাক ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। নিজভূমেই সব ম্যাচ খেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকেন তারা। আর নিজের অবস্থানে অনড় থাকে বিসিবি। দুই বোর্ডের মধ্যে কথা চালাচালি হতেই থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুবাইয়ে আইসিসির সদর দফতরে জরুরি বৈঠকে বসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের উপস্থিতিতে সভা করেন তারা। অবশেষে বরফ গলে দুই পক্ষের। বহুল আলোচিত সফরটি চূড়ান্ত হয়।
তবে সফরের সূচিটা হয়েছে বেশ অদ্ভুত। সেটি অবলীলায় স্বীকার করেছে বিসিবি। তিন মাসে তিনবার পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় জানুয়ারিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সেখানে যাবে তারা। সবকটি ম্যাচ হবে লাহোরে।
দ্বিতীয় দফায় ফেব্রুয়ারিতে একটি টেস্ট খেলতে দেশটিতে যাবেন টাইগাররা। ম্যাচটি হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। আর তৃতীয় ধাপে এপ্রিলে একটি ওয়ানডে এবং টেস্ট খেলতে সেখানে যাবেন তারা। ম্যাচ দুটি গড়াবে করাচিতে।
সব চূড়ান্ত করে বুধবার বেলা ১১টার দিকে দেশে ফিরে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রশ্ন ওঠে পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবির কূটনৈতিক পরাজয় হয়েছে কিনা?
জবাবে বোর্ডপ্রধান বলেন, সবকিছু ভেবেচিন্তেই পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছি। এটি বিসিবির কূটনৈতিক পরাজয় নয়। আমাদের চাওয়াতেই সব হয়েছে। চূড়ান্ত সূচি করা হয়েছে।
তা হলে এফটিপির বাইরে গিয়ে একটি ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো কেন? উত্তরে পাপন বলেন, দ্বিতীয় টেস্টের প্রস্তুতি হিসেবে একটি ওয়ানডে যোগ হয়েছে। প্রথমে আরও একটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বলছিল পাকিস্তান। যেহেতু সূচিতে পরে টেস্ট আছে, তাই আমাদের ওয়ার্মআপের দরকার। এ জন্য ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে বেশি ওভার খেলা যাবে। প্রস্তুতিটাও ভালো হবে।
| আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি এবং দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে নিরাপত্তা অজুহাতে সেখানে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে চেয়েছিলেন টাইগাররা। আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলার কথা জানান তারা। |
আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার স্টোকস | ২০১৯ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। বুধবার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
গেল ১২ মাস অনবদ্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন স্টোকস। এ সময়ে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একা হাতে হেডিংলি টেস্ট জিতিয়ে দলকে ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ ড্র করতে বড় অবদান রাখেন বিগ বেন। এ ছাড়া সারা বছরই তার পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো।
স্টোকস নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেন ৮৪ রানের বীরোচিত ইনিংস। ভোট চলাকালীন ২০ ওয়ানডেতে ৭১৯ রান ও ১২ উইকেট নেন তিনি। পাশাপাশি ১১ টেস্টে ৮২১ রান ও ২২ উইকেট শিকার করেন ইংলিশ এ অলরাউন্ডার। তন্মধ্যে অ্যাশেজে লিডসে খেলেন ১৩৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস।
সার্বিক বিচারে স্টোকসকে বর্ষসেরার সম্মানে ভূষিত করেছে আইসিসি। এ জন্য তিনি লাভ করেছেন মর্যাদাকর গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি। এ ছাড়া এ বছর ক্রিকেটবিশ্বের নীতিনির্ধারণী সংস্থার বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন ভারতের রোহিত শর্মা। বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)। আর বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হয়েছেন ভারতের পেসার দীপক চাহার।
তথ্যসূত্র: আইসিসি ওয়েবসাইট।
| ২০১৯ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। বুধবার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। |
অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন ডি ভিলিয়ার্স! | অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হয়ে খেলতে চান তিনি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস এবং হেড কোচ মার্ক বাউচারের সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ৩৬০ ডিগ্রিখ্যাত ব্যাটার।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ডি ভিলিয়ার্স। জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন তিনি।
আইপিএলের গেল দুই মৌসুমে ডি ভিলিয়ার্সের পারফরম্যান্স স্মরণযোগ্য। প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে নেমেও শুরুটা দারুণ করেছেন তিনি। ব্রিসবন হিটের জার্সিতে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারের বিপক্ষে ঝড়ো ৪০ রান করেন এবি।
ডি ভিলিয়ার্স এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য ফিট। আগেই তা জানিয়েছেন তিনি। এবার সরাসরি অবসর ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ফেরার আভাস দিলেন ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
এক সাক্ষাৎকারে এবি বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই আমি। এখনও অনেক দূর যেতে তৈরি। তবে আপাতত আসন্ন আইপিএলে ভালো পারফরম্যান্স করাই আমার লক্ষ্য।
তথ্যসূত্র: ক্রিকবাজ।
| অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হয়ে খেলতে চান তিনি। |
যে কারণে 'অদ্ভুত' সূচিতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ | অবশেষে বিসিবি-পিসিবি বরফ গলল। পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দুবাইয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানির সভায় সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। খোদ আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তবে সফরের সূচিটা হয়েছে বেশ অদ্ভুত। সেটি অবলীলায় স্বীকার করেছে বিসিবি। তিন মাসে তিনবার পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় জানুয়ারিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সেখানে যাবে বাংলাদেশ দল। সবকটি ম্যাচ হবে লাহোরে।
দ্বিতীয় দফায় ফেব্রুয়ারিতে একটি টেস্ট খেলতে দেশটিতে যাবেন টাইগাররা। ম্যাচটি হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। আর তৃতীয় ধাপে এপ্রিলে একটি ওয়ানডে এবং একটি টেস্ট খেলতে সেখানে যাবেন তারা। ম্যাচ দুটি গড়াবে করাচিতে।
আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ দিকে দুই ম্যাচ টেস্ট এবং তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরের কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে নিরাপত্তা অজুহাতে সেখানে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে চেয়েছিলেন টাইগাররা। ফলে বেঁকে বসে পিসিবি। পরে এ নিয়ে বিসিবির সঙ্গে তাদের কথা চালাচালি হয়। অবশেষে দুই বোর্ডের সমঝোতায় সফর চূড়ান্ত হয়।
এফটিপিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থাকলেও চূড়ান্ত সূচিতে একটি ওয়ানডে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রশ্নটা উঠেছে এতেই। এমন অস্বাভাবিক সূচিতে কেন রাজি হলো বিসিবি। আইসিসি সদর দফতরে দুই বোর্ডপ্রধানের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সাধারণত দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের পর একটা বিরতি থাকে। সেখানে দুই টেস্টের মাঝে লম্বা বিরতি রয়েছে। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্ট হবে প্রায় দেড় মাস পর। স্বাভাবিক সূচি এভাবে হয় না। আমরাও প্রায় দেড় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরব। মাঝে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ছাড়া কিছু নেই। ওই সময় ওয়ার্মআপের দরকার আছে। তাই ওয়ানডেটি রাখা। এ জন্য ওরাই অনুরোধ করেছিল। সবকিছু ভেবেচিন্তে আমরা তা মেনে নিয়েছি। আইসিসিও এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।
টেস্টের ওয়ার্মআপের জন্য ওয়ানডে আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ওয়ানডে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি পুরোটাই অর্থসংক্রান্ত। সফরটা ভাগে ভাগে হবে। তিনবার বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেবে পাকিস্তান। এতে পিসিবির আর্থিক ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যাবে। সেটি কিছুটা পুষিয়ে নিতে ওয়ানডেটি আয়োজন করছে তারা।
বাংলাদেশ তিন ভাগে পাকিস্তান যাবে। সফরের কোনোটিই ১০ দিনের বেশি হবে না। ঘন ঘন ভ্রমণ আর সংস্করণ বদলে ক্রিকেটাররা মনোযোগ হারাতে পারে বলে কথা উঠছে।
বিসিবি সিইও বলেন, সফরটা হচ্ছে বিশেষ প্রেক্ষাপটে। তাই সূচিটা জটিল মনে হচ্ছে না। আমরা মোটেও সেটি মনে করছি না। অবশ্য এভাবে কখনও আমাদের সূচি হয়নি। আমরা বারবার সংক্ষিপ্ত সময় পাকিস্তানে সফর করার কথা বলেছি। আমরা সঠিক সময়ের কথা বলেছি। এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে। তাই রাজি হয়েছি। সরকারও আমাদের সেভাবে ছাড়পত্র দিয়েছে।
| অবশেষে বিসিবি-পিসিবি বরফ গলল। পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ।মঙ্গলবার দুবাইয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানির সভায় সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। খোদ আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর সেখানে উপস্থিত ছিলেন। |
হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তিও বাতিল করল শ্রীলংকা | গেল আগস্টে জাতীয় দলের কোচ পদ থেকে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি দেয় ক্রিকেট শ্রীলংকা (এসএলসি)। তবে চুক্তি বাতিল করা হয়নি। চাকরি গেলেও কয়েক মাস বেতন পেয়েছেন তিনি। অবশেষে তার সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি বাতিল করল এসএলসি।
নির্ধারিত সময়ের আগেই চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে এসএলসির বিরুদ্ধে মামলা করেন হাথুরুসিংহে। এর মধ্যেই তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে এসএলসি।
বোর্ডের প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ডি সিলভা জানান, গেল শুক্রবার বোর্ডসভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীলংকায় হাথুরুসিংহে যুগের ইতি ঘটল।
এসএলসির সঙ্গে হাতুরুসিংহের চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে ব্যর্থতার কারণে ২০১৯ সালের আগস্টে তাকে বরখাস্ত করে লংকান বোর্ড। এ নিয়ে গেল পাঁচ বছরের মধ্যে লংকা দলের তৃতীয় কোচ হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিলেন তিনি।
এর আগে যথাক্রমে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নেন মারভান আতাপাত্তু ও গ্রাহাম ফোর্ড। ব্যর্থতার দায় নিয়েই সরে যেতে হয় তাদের।
নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তি শেষ হওয়ার আগে চাকরি চলে যাওয়ায় এখন বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পাবেন হাথুরুসিংহে। এর আগে জিওফ মার্শের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালে তাকে বিদায় করে দেয় এসএলসি। এর পর বিরাট ক্ষতিপূরণ গুণে এসএলসি।
তথ্যসূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
| গেল আগস্টে জাতীয় দলের কোচ পদ থেকে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি দেয় ক্রিকেট শ্রীলংকা (এসএলসি)। তবে চুক্তি বাতিল করা হয়নি। চাকরি গেলেও কয়েক মাস বেতন পেয়েছেন তিনি। অবশেষে তার সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি বাতিল করল এসএলসি। |
২ বছর পর কোর্টে নেমেই ঝলক দেখালেন সানিয়া মির্জা | প্রায় দুই বছর টেনিস কোর্টের বাইরে ছিলেন সানিয়া মির্জা। অন্তঃসত্ত্বা ও ছেলের জন্মের কারণে এতদিন খেলতে পারেননি তিনি। ফিরেই সফলতা পেলেন ভারতীয় তারকা। হোবার্ট ইন্টারন্যাশনাল ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছেন শোয়েবপত্নী।
আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে চলা অস্ট্রেলিয়া ওপেনে খেলবেন সানিয়া। এর আগে প্রস্তুতি হিসেবে মঙ্গলবার হোবার্ট ইন্টারন্যাশনালে খেলতে নামেন তিনি। ইউক্রেনের নাদিয়া কিচেনোকের সঙ্গে জুটি বেঁধে জর্জিয়ার ওসানা কালাশিনিকোভা এবং জাপানের মিউ কাটো জুটির বিরুদ্ধে খেলেন সানিয়া।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ম্যাচ জেতে ইন্দো-ইউক্রেন জুটি। ম্যাচের প্রথম সেট ২-৬ গেমে হেরে যায় সানিয়া ও নাদিয়া জুটি। তবে দ্বিতীয় সেটে ফিরে আসেন তারা। ওই সেট টাইব্রেকারে জেতেন সানিয়ারা। এর ফল হয় ৭-৬ (৭-৩)। তৃতীয় সেট ১০-৩ গেমের ব্যবধানে জেতেন তারা।
সানিয়া সবশেষ খেলেন ২০১৭ সালে চায়না ওপেনে। এর পর সন্তানের মা হন তিনি। ফলে কোর্ট থেকে সরে যান টেনিস সেনশেসন। ২০১৯ সালের শেষে ফের অনুশীলনে ফেরেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা। ২০২০ সালের শুরুতে টেনিস কোর্টে ফিরে সবাইকে মুগ্ধ করলেন তিনি।
তথ্যসূত্র: মাইখেল
| প্রায় দুই বছর টেনিস কোর্টের বাইরে ছিলেন সানিয়া মির্জা। অন্তঃসত্ত্বা ও ছেলের জন্মের কারণে এতদিন খেলতে পারেননি তিনি। ফিরেই সফলতা পেলেন ভারতীয় তারকা। হোবার্ট ইন্টারন্যাশনাল ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছেন শোয়েবপত্নী। |
ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে 'নো এনআরসি, নো ক্যাব' প্রতিবাদ! | ২২ গজের ক্রিকেটযুদ্ধেও হলো ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মৌন প্রতিবাদ! মঙ্গলবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুম্বাইয়ে খেলতে নামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের আগে কালো কাপড় কিংবা কালো রঙের পোশাক পরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে এরই মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া করেছেন তারা।
কেন সেই রঙ পরে মাঠে ঢোকা যাবে না, তা নিয়ে সহস্র ক্রিকেটপ্রেমী টুইট করে প্রশ্ন করেছেন। এখানেই শেষ নয়; ম্যাচের মাঝে ক্রিকেটে মন বসাতে বসাতেই মৌন প্রতিবাদ করেন দর্শকরা। গ্যালারিতে ধাওয়ান-স্টার্কদের ক্রিকেটীয় দ্বৈরথে চোখ রেখে 'ইন্ডিয়া... ইন্ডিয়া... ' স্লোগান তোলেন তারা।
ভিডিওতে ধরা পড়েছে, ম্যাচ দেখতে আসা তরুণ প্রজন্ম টি-শার্টে 'নো এনআরসি, নো ক্যাব' লিখে ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে বিরাটদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
মৌন প্রতিবাদ করায় সমর্থকদের মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদী গোষ্ঠীকে ধাক্কা দিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছে পুলিশ বলেও অভিযোগ এসেছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ চলছে। কেউ মাথায় চুলের কাটিংয়ে 'নো এনআরসি' লিখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তো কেউ 'নো এনআরসি' প্ল্যাকার্ড হাত নিয়ে বিয়ের ফটোশুট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর মাঝে এবার ক্রিকেট মাঠের গ্যালারিতেও এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদ দেখা গেল।
তথ্যসূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া।
| ২২ গজের ক্রিকেটযুদ্ধেও হলো ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মৌন প্রতিবাদ! মঙ্গলবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুম্বাইয়ে খেলতে নামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। |
সাকিবের পাশে হাস্যজ্জ্বল কে এই নারী? | সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল সাকিব আল হাসানের একটি ছবি। যেখানে সাকিবের সঙ্গে দাঁড়িয়ে হাস্যজ্জ্বল এক নারী।
ফেসবুকে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, সাকিবের পাশে দাঁড়িয়ে কে এই নারী? আর এ ছবির পেছনের কাহিনী কি?
তবে অনেকেই চিনতে পেরেছেন ওই নারীকে।
তিনি নব্বই দশকের অন্যতম মডেল।
১৯৯২ সালে একটি কোল্ড ক্রিমের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি। এরপর টানা কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞাপনচিত্রের সেরা মডেল হয়ে উঠেন। তার পরই যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান।
৯০ দশকের জনপ্রিয় সেই মডেলের নাম স্মৃতি ফামি। যার কথা ভোলেননি অনেকেই।
জানা গেল, সাকিবের জন্যই সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ঢাকায় এসেছেন তিনি।
সূত্র জানায়, গত ৮ জানুয়ারি ঢাকায় এসেছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী স্মৃতি ফামি।
সাকিবের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে বিমান উঠেছেন স্মৃতি।
হঠাৎ সুদূর ইংল্যান্ড থেকে মাতৃভূমি ঢাকায় কি প্রয়োজনে সাকিবের সঙ্গে দেখা করতে এলেন সে প্রশ্নের জবার স্মৃতি ফাহমি নিজের দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজার ডাকে হুট করেই গত ৮ জানুয়ারি ঢাকায় এসেছি। অবশ্যই একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজে। ওই বিজ্ঞাপনে সাকিব আল হাসান আমার সহশিল্পী। দুজনে ১০ ও ১১ জানুয়ারি টানা শুটিং করেছি। ১৪ জানুয়ারি কাজ শেষ করেই ফিরে যাচ্ছি পরিবারের কাছে।
স্মৃতি ফামি, ২০ বছর পর নতুন করে আবার ক্যামেরার সামনে আসলাম। অন্যরকম রোমাঞ্চতা অনুভব করলাম। অমিতাভ রেজা আর সাকিব আল হাসান- দুজনের কাজ করতে খূব ভালো লেগেছে। দুজনই নিজ নিজ অঙ্গনে সেরা। এটা আমার জীবনের বড় অর্জন।’
জানা গেছে, সাকিবের সঙ্গে করা নতুন এ বিজ্ঞাপন চিত্রে স্মৃতি ফামিকে দেখা যাবে অনেকটা সুপার ওমেনের চরিত্রে।
বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে, ঘরে-বাইরে সারাক্ষণ ব্যস্ত এক গৃহিনী সব কাজ সেরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এমনই সামনে হাজির হন সাকিব আল হাসান। তার হাতে এক গ্লাস পানীয়। যা পান করে ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যায় ওই গৃহিনীর।’
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই বিজ্ঞাপনচিত্রটি দেশের সবকটি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচার হবে বলে জানা গেছে।
| সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল সাকিব আল হাসানের একটি ছবি। যেখানে সাকিবের সঙ্গে দাঁড়িয়ে হাস্যজ্জ্বল এক নারী। |
বিচারবহির্ভূত হত্যা সম্ভবত বৈধ হতে যাচ্ছে: সংসদে রুমিন ফারহানা | বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বৈধ করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
বুধবার জাতীয় সংসদে জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ শঙ্কার কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘২০১৯ সালে গড়ে প্রতিদিন একজনের বেশি মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড খুব সম্ভবত বৈধ হতে যাচ্ছে। কারণ, গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা দেখেছি সরকার ও বিরোধী দল- দুই দলই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে কথা বলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক কেন বারবার মার খান- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো তারও একই প্রশ্ন। এর জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে থাকার কথা। নুরুল হক বারবার মার খান, কারণ প্রথমবার মার খাওয়ার পর কোনো বিচার হয়নি।
রুমিন বলেন, এই দেশে আইনের শাসন তার নিজ গতিতে চলে না। চলে সরকারের গতিতে। আইন সরকারের গতিতে চলে বলেই সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৭০ বারের মতো পেছানো হল। যে কোনো ঘটনা ঘটায় সরকার যেভাবে চায়, ঠিক সেভাবেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কিছু নজির আমরা দেখতে পেলাম আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৬ জন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন। ২০১৯ সালে গড়ে প্রতিদিন একজনের বেশি মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।’
রুমিন বলেন, গত বছর গ্রেফতারের আগে নির্যাতনে মারা গেছে ৬ জন। গুলিতে নিহত হয়েছে আরও ১২ জন। এরকম শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণের পর ৪৮৭ শিশু নিহত হয়েছে। গণপিটুনিতে মারা গেছে ৬৫ জন। ১৪২ জন সাংবাদিক শারীরিক নির্যাতন, হামলা, হুমকির শিকার হয়েছেন।
| বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বৈধ করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। |
শেয়ারবাজারের অচলাবস্থা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা | শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। শেয়ারবাজার একেবারে শুয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে শেয়ারবাজার উঠে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এই দাবি করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে করছিলেন।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, দেশ চলে তিন নীতিতে, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং দুর্নীতিতে। শেয়ার মার্কেট মাটিতে শুয়ে গেছে, বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, শেয়ারবাজার কেন এরকম হল। অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত সুদক্ষ। শেয়ারবাজার নিয়ে চিন্তাও করেন, ওনার একটা গভীর চিন্তা-ভাবনাও আছে। এই মার্কেটের কোথায় কি হচ্ছে এর সম্মুখ ধারণা ওনার আছে। কারণগুলো আমাদের সবার জানা। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দুর্বল পচা কোম্পানিগুলো লিস্ট করে বাজারে ছেড়ে দেয়। আর বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়ে। আমরা বলেছিলাম দুর্বল কোম্পানিগুলোকে যেন লিস্টিং না করে। শেয়ারবাজার ধ্বসের একমাত্র কারণ দুর্বল কোম্পানির শেয়ারবাজারে লিস্টিং দেয়া।
তিনি বলেন, আমরা লিস্টিং দেই না। দেয় সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আমরা বারবার ফেরত পাঠাই, দুর্বল লোকরা পচা কোম্পানিগুলো বাজারে নিয়ে আসছে, যার ফলে আমাদের বিনিয়োগকারীদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে। তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি করেছিলাম। আজ পর্যন্ত কমিশন করা হয়নি, একটা লোককেও শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। বাজার থেকে মূলধন ৯৫ হাজার কোটি টাকা নেই।
সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, পচা কোম্পানিগুলো আমাদের কাছে ছেড়ে দেন। পৃথিবীর কোনো দেশে নেই শেয়ার কিনতে বাধ্য করবে, এই টাকায় শেয়ার বিক্রি করতে হবে। বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় বসে গেছে। শেয়ার মার্কেটে যারা ৩০ বছর ধরে যেত তাদের পায়ে জুতা নেই। তারা বলছেন আমাদের দেখার কি কেউ নেই। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন জগদল পাথরের মতো বসে আছে। শুধু লিস্টিং দেয়াই তাদের কাজ, আর কোনো কাজ নেই। পচা কোম্পানি এনে প্রতিদিন নিঃস্ব করে দেয়া হচ্ছে, কারো বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ইস্যু ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। প্রশান্ত হালদার নামে একটা লোক সে নন-ব্যাংকিং কিছু প্রতিষ্ঠান করে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। উনি দেশে নেই পালিয়ে গেছেন। কার জবাব কে দেবে। এ জন্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, নিশ্চই প্রধানমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে শেয়ার মার্কেট আবার ফিরে আসতে পারে। নইলে এখান থেকে ফিরে আসার কোনো উপায় দেখি না।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, মন্ত্রীরা প্রশ্নোত্তর দেন দেশে কোনো বিপর্যয় দেখতে পান না, দেশে কোনো সংকট নেই। এ সমস্ত উত্তর যখন আসে হতভম্ব হয়ে যাই, বিস্মিত হয়ে যাই। গত এক সপ্তাহ যাবৎ পুঁজি বাজারের জন্য মানুষ রাস্তায় শুয়ে পড়েছে, তাদের আজ-কাম নেই বিপর্যস্ত লাখ লাখ পরিবার সম্পূর্ণরূপে ধুলায় মিশে যাচ্ছে। এ ব্যাপের সরকারের কোনো পদক্ষেপ বা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান নেই, এই বিষয়ে কোনো আশ্বস্ত হতে পারছি না। মুজিববর্ষ উদযাপন করছি এত প্রবৃদ্ধি এত উন্নতি আমরা চারদিকে বিশাল বিশাল স্থাপনা বানাচ্ছি। সত্যিকার অর্থে অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের রক্ষার জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন তা একটু জানাবেন।
| শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। শেয়ারবাজার একেবারে শুয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে শেয়ারবাজার উঠে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। |
মামলার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক হয়রানি: ইশরাক | দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বিন্দুমাত্র বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
তিনি বলেছেন, রাজনীতি করব আর মামলা হবে না, জেল হবে না- এটা কোনো কিছু হয় নাকি বাংলাদেশে। এই মামলাটিই করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করার জন্য।
ইশরাক বলেন, ২০০৮ সালে আমাকে একটা নোটিশ দেয়া হয়েছিল আমার সব উইল স্ট্যাটম্যান্ট দেয়ার জন্য। তখন আমি ছাত্র ছিলাম। আর পড়াশোনার জন্য আমি বাইরে ছিলাম। এই নোটিশ সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। সেটার জন্যই মামলা দেয়া হয়েছে। আমি যাতে এর জবাব না দেই। এখন আবার এসে তারা এই মামলা নাড়াচাড়া করছে। আমি বলব, এই মামলা করে লাভ নেই। আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত না। এ সব বাধা আমি কোনো বাধা মনে করি না।
বুধবার রাতে বাংলামোটরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময়তো সব দলের নেতা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা হয়েছে। এই সরকার আসার পর তাদের এবং তাদের পরিবারের মামলাগুলো গায়েব করে দিয়েছে। আর আমরা যারা বিএনপি করি তাদের মামলাগুলো সক্রিয় রেখেছে। গত জাতীয় নির্বাচনে আমি যখন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন কিনেছিলাম তখন থেকে এটা নিয়ে নড়াচাড়া শুরু করে দেয়া হয়েছে। এ সব কোনো বিষয় না।
এই মামলার কারণে মাঠের প্রচারণায় কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে খোকাপুত্র ইশরাক বলেন, আজকে আমি এই মামলায় একটা হাজিরা দিয়েছি। এই মামলা দায়ের হয়েছে ২০১০ সালে। নোটিশ জারি হয়েছে ২০০৮ সালে। এ মামলাতো নতুন নয়। আমি আমার হলফনামায় তো উল্লেখ করেছি যে আমার এই মামলা আছে। আর দুদকের মামলা তো এখন সরকারদলীয় নেতা যারা আছেন তাদের অনেকের নামেই আছে। তারা এগুলো গায়েব করে ফেলেছে। আর আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার নামেও ভূয়া মামলা দেয়া হয়েছে। তাই আমি বলি, এতে নেতিবাচক হওয়ার কিছুই নেই।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল তালেব কমিশনের নোটিশটি জারি করতে ইশরাকের বাসভবনে যান। কিন্তু ইশরাক সেখানে না থাকায় উপস্থিত চারজন সাক্ষীর সামনে বাসভবনের নিচতলায় প্রবেশ পথের বাম পাশের দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে নোটিশটি জারি করেন। এরপর কমিশনের দেয়া সাত কার্যদিবসের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।
এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
গত বছরের ৫ মে চার্জশিট আমলে নিয়ে ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এ মামলায় গত ৯ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন ইশরাক।
| দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বিন্দুমাত্র বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। |
জি হুজুরের পার্লামেন্টে জনগণের অধিকার খর্ব হচ্ছে: মির্জা ফখরুল | জি হুজুরের পার্লামেন্টে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিনিয়ত খর্ব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কুমারপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, বর্তমানে জনগণ যে কঠিন সময় পার করছে ১৯৭১ সালে এতটা দুঃসময় বিরাজ করেনি দেশে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, সুশাসন ও বৈষমহীন সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন নিয়ে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা স্বাধীকার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল।
কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সংবিধান সংশোধন করে দেশে নতুন আঙ্গিকে ছদ্মবেশী বাকশাল কায়েম করেছে গণতন্ত্রকে গলাটিপে।
ফখরুল বলেন, একাত্তরের আগে বহির্শত্রু দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। এখন দেশের ভেতরে ঘরের শত্রু মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্বৃত্তদের হাতে দেশের শাসনভার। দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র নেই। জি হুজুরের পার্লামেন্টে দেশের মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের বগলে নিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করছে অবৈধ এ সরকার।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। তাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। তিনি বাইরে থাকলে সরকারের অপর্কম ফাঁস হবে বলে এই ভয়ে তাকে জেলে আটক রাখা হয়েছে।
| জি হুজুরের পার্লামেন্টে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিনিয়ত খর্ব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। |
মেয়র প্রার্থী ইশরাকের বিচার শুরু | দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার (নন-সাবমিশন) মামলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম চার্জ গঠনের এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হল। ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবং অভিবক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।
এ দিন শুনানির সময় আদালতে ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। আসামিপক্ষে ডিসচার্জ (অব্যাহতি) আবেদন করা হয়।
অপরদিকে দুদকের পক্ষে চার্জ গঠনের আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ডিসচার্জ আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল তালেব কমিশনের নোটিশটি জারি করতে ইশরাকের বাসভবনে যান। কিন্তু ইশরাক সেখানে না থাকায় উপস্থিত চারজন সাক্ষীর সামনে বাসভবনের নিচতলায় প্রবেশ পথের বাম পাশের দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে নোটিশটি জারি করেন। এরপর কমিশনের দেয়া সাত কার্যদিবসের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।
এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
গত বছরের ৫ মে চার্জশিট আমলে নিয়ে ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এ মামলায় গত ৯ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন ইশরাক।
| দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার (নন-সাবমিশন) মামলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেছেন আদালত। |
রোজ পোস্টার ছিঁড়ছে, এটাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নমুনা: ইশরাক | সিটি নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমতল ভূমি তৈরি হয়নি বলে আবারও অভিযোগ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা অনেক জায়গায় ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। প্রতিদিনই পোস্টার ছিঁড়ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আমরা রোজ অভিযোগ করছি। কিন্তু কমিশনের দিক থেকে কোন উদ্যোগ দেখছি না। এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নমুনা হতে পারে না।
আজ বুধবার বেলা একটায় ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন।
অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার জ্যেষ্ঠ ছেলে আরও বলেন, প্রতিদিনেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। পোস্টার লাগাতে বাঁধা দেয়া এবং কর্মীদের মারধর ও পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থীই নির্বাচনী আচরণবিধি মানছে না। এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই।
হাজারীবাগে এক পথসভায় ইশরাক হোসেন বলেন, হাজারীবাগ মহানগরীর অধীন হলেও এ এলাকার মানুষ আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা নির্বাচিত হলে আধুনিক ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাজারীবাগের উন্নয়ন করব। হাজারীবাগে বিরাজমান সমস্যা দূরীকরণ, বায়ু দূষণসহ পরিবেশ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরূত্ব দেয়া হবে।
গণসংযোগে বিপুল সংখক কর্মীসমর্থক এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণকে শোডাউন বলে আওয়ামী লীগ যে অভিযোগ করছে তা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এটা শোডাউন নয়। এটি এলাকার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। এটি বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ।
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
| সিটি নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমতল ভূমি তৈরি হয়নি বলে আবারও অভিযোগ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। |
কাদেরের হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বেড়েছে | আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস পরবর্তী স্বাস্থ্যের উন্নতি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বুধবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান ওবায়দুল কাদের। পরে চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. ফিলিপ কোহ কাদেরের স্বাস্থ্যের আশানুরূপ উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবু নাসের।
ডা. ফিলিপ কোহের বরাত দিয়ে আবু নাসের জানান, ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্য স্থিতিশীল রয়েছে এবং প্রতিটি প্যারামিটার আশানুরূপ উন্নতি করেছে। কাদেরের হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বেড়েছে এবং শতকরা হারে তা ক্রমশ উন্নতির দিকে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে জানান চিকিৎসক দলের প্রধান।
আজ রাত ১০টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরবেন।
১৩ জানুয়ারি ফলোআপ চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
| আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস পরবর্তী স্বাস্থ্যের উন্নতি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। |
৩০ জানুয়ারি জীবনবাজির লড়াই: তাবিথ | সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসা ঢাকা উত্তরে (ডিএনসিসি) বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেছেন, আগামী ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন হবে ‘জীবনবাজির লড়াই’। এই লড়াইয়ে ভয় না পেয়ে সবাইকে ভোটযুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এ প্রার্থী।
বুধবার ডিএনসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তিনি ভোটারদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ৩০ জানুয়ারি হবে আমাদের জীবনবাজির লড়াই। আপনারা কোনো ভয়ভীতি না পেয়ে, মনের বিশ্বাস ও আমাদের ঐক্য একসঙ্গে করে ৩০ জানুয়ারি আমাদের বিজয়ী করবেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, যারা আপনাদের অধিকার রক্ষা করবেন, আপনাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবেন; তাদের বিজয়ী করার লক্ষ্যে আপনারা অবশ্যই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ধানের শীষ মার্কাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।
মেয়র নির্বাচিত হলে জনগণের সেবায় সর্বদা থাকবেন জানিয়ে তাবিথ আউয়াল বলেন, আগামী দিনে আপনারা যদি আমাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেন, আপনাদের পক্ষে লড়ব, আপনাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করব। আপনাদের আওয়াজ যেন সিটি কর্পোরেশনে দরজা অবধি পৌঁছাতে পারে, সেটি আমি প্রাধান্য দেব।
আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম চা বানিয়ে প্রচারে জনগণকে আকৃষ্ট করছেন, আপনি এ রকম কিছু করবেন কিনা জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ওটা তার ব্যাপার। আমার প্রতিপক্ষ প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবস্থা করেছিলেন, ওনার প্রচারের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না। উনি ভোটারদের যেভাবে আকৃষ্ট করতে পারেন, করবেন।’
সকালে উত্তর বাড্ডার রহমতউল্লাহ গার্মেন্টসের সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন তাবিথ আউয়াল। পরে তিনি পশ্চিম পদরদিয়া, পূর্ব পদরদিয়া হয়ে সাঁতারকুল, ইসলামবাগ ও মগাইরে গণসংযোগ করেন।
| সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসা ঢাকা উত্তরে (ডিএনসিসি) বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেছেন, আগামী ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন হবে ‘জীবনবাজির লড়াই’। এই লড়াইয়ে ভয় না পেয়ে সবাইকে ভোটযুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এ প্রার্থী। |
পূজার দিনে ভোট, পেছানোর দাবি ইশরাকের | সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার দিনে সিটি নির্বাচনের তারিখ পড়ায় ভোট পিছিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
বুধবার দুপুরে ধানমণ্ডি এলাকায় ষষ্ঠ দিনের মতো নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভোট পেছানোর দাবি করছে, এ বিষয়ে আপনাদের দলীয় সিদ্ধান্ত কী– এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, এই দাবি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত। আমরা মুসলমান, আমাদের ঈদের দিন যদি ভোটগ্রহণ হতো, তা হলে আমরাও ভোট পেছানোর দাবি করতাম। তাই আমি মনে করি পূজার দিনে ভোট নেয়া ঠিক হবে না। অবশ্যই ভোট পেছানো উচিত।
মেয়র হলে কী কী উদ্যোগ নেবেন সে সম্পর্কে ইশরাক বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথমে যে কাজটি করব তা হচ্ছে, একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যত পদক্ষেপ নেয়া দরকার তাই নেব।
পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ পেয়ে প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে তাদের কাছে প্রতিনিয়ত অভিযোগ যাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে আমরা খুব বেশি কিছু আশাও করি না। এখন পর্যন্ত আমি তাদের মাঠেও দেখিনি।
ধানমণ্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু হয়ে ধানমণ্ডি ১৫, জিগাতলা কাঁচাবাজার, হাজারীবাগ এলাকার অবস্থান করছে। প্রচারে ইশরাকের পাশে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
| সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার দিনে সিটি নির্বাচনের তারিখ পড়ায় ভোট পিছিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। |
সেই ছবি নিয়ে ‘অপপ্রচার’ না করার আহ্বান তাবিথ আউয়ালের | ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী প্রচারে দুই প্রার্থীর দুটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই চলছে। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের চা বানানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। আবার তাবিথ আউয়ালের একটি ছবি নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল দেখাচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
এমতাবস্থায় পুরনো ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার না করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
বুধবার নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম চা বানিয়ে প্রচারে জনগণকে আকৃষ্ট করছেন আপনি এ রকম কিছু করবেন কি না জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ওটা তার ব্যাপার। আমার প্রতিপক্ষ প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবস্থা করেছিলেন, ওনার প্রচারের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না। উনি ভোটারদের যেভাবে আকৃষ্ট করতে পারেন, করবেন।’
নিজের পুরনো ছবি নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে যাচ্ছি। ভোট চাচ্ছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত। তবে আমার একটা ছবি উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরিষ্কারভাবে দেখবেন ২০১৫ সালের নির্বাচনকালীন একটি ছবি। বাসের জানালার বাইরে জনসংযোগ করেছিলাম। মানুষকে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাসের কোনো কন্ডাক্টর অথবা প্রচারের কোনো অংশগ্রহণ এই ছবিতে ছিল না। ছবিটাকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। আমি আহ্বান জানাচ্ছি এই ছবি নিয়ে যেন কোনো অপপ্রচার করা না হয়।’
গণসংযোগে বিএনপির জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ তার সঙ্গে রয়েছেন।
| ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী প্রচারে দুই প্রার্থীর দুটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই চলছে। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের চা বানানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। আবার তাবিথ আউয়ালের একটি ছবি নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল দেখাচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। |
প্রথম দিন থেকেই কাজ করব: ব্যারিস্টার তাপস | নগরবাসীর ভোটে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করবেন। ঢাকাকে একটি আদর্শ নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন।
বুধবার রাজধানীর কদমতলী, শ্যামপুরে নির্বাচনী গণসংযোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নৌকার পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ৩০ জানুয়ারি আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হব। একটি উন্নত ঢাকা উপহার দিতে উন্নয়নের যে রূপরেখা দিয়েছি, ডিএসসিসির বাসিন্দারা তা সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাদের প্রত্যাশা পূরণে, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করব।
প্রচারে যেন জনভোগান্তি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন জানিয়ে তাপস বলেন, জনগণ আমাদের অনেক ভালোবাসা দিচ্ছে। আমি জনভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখেছি। আর তাই যেখানেই যাচ্ছি সেখানকার সড়কে যেন কোনো ধরনের যানজট সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমার নির্বাচনী প্রচারের কাজে যারা যুক্ত তাদের সতর্ক থাকতে বলেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি যেন লঙ্ঘন না হয়, সেদিকে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। পাশাপাশি আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও সতর্ক রয়েছে।
ভোটের দিন সরস্বতী পূজা পড়ছে– এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাপস বলেন, নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু পঞ্জিকা অনুযায়ী এটি ভুল হয়ে গেছে। এ জন্য আমি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। নির্বাচন যেহেতু নির্ধারিত তারিখেই হবে, তাই আমাদের গণসংযোগ চালিয়ে যেতে হবে।
| নগরবাসীর ভোটে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করবেন। ঢাকাকে একটি আদর্শ নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন। |
আতিকুলের ভোটের প্রচারে নায়ক রিয়াজ | ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের প্রচারে অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। আরও কয়েকজন সেলিব্রেটি আতিকুলের পক্ষে গণসংযোগে নেমেছেন।
বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ফার্মগেট আল রাজী হাসপাতালের সামনে থেকে ষষ্ঠ দিনের প্রচার শুরু করেন আতিকুল। এ সময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, নায়িকা বাঁধন, তারানা হালিম, ফুটবলার কায়সার হামিদ প্রমুখ।
রিয়াজ তার বক্তৃতায় আতিকের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চান। বাঁধন-তারানা হালিমও আতিকুলের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোট হবে। এবারই প্রথম ঢাকা সিটিতে সব কেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। ঢাকা উত্তরে আতিকুলের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি তাবিথ আউয়াল।
| ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের প্রচারে অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। আরও কয়েকজন সেলিব্রেটি আতিকুলের পক্ষে গণসংযোগে নেমেছেন। |
ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে ইসির প্রতি রাব্বানীর অনুরোধ | সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ বদলে দেয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
এই আদেশের ফলে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারিই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট হবে।
এদিকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানো না হলে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়ে মঙ্গলবার আন্দোলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত ও ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী।
৩০ জানুয়ারি নির্বাচন হলে বিষয়টি অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেন, ‘হিন্দুধর্মের পবিত্র সরস্বতী পূজার দিনেই ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজোর অনুষ্ঠান মূলত ঢাকার শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজিত হয়, আর নির্বাচনের ভোট গ্রহণও সেসকল স্থানেই হবার কথা। বিষয়টি বেশ সাংঘর্ষিক।’
তিনি আরো লেখেন, ‘এটি আমাদের চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক চেতনাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবে। স্বভাবতই ভোটার উপস্থিতির ওপরও এর বড় প্রভাব পরবে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি সবিনয় অনুরোধ রইল।’
| সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ বদলে দেয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। |
‘দণ্ডিত বিএনপি নেত্রী খালেদার ছবি কীভাবে পোস্টারে স্থান পায়?’ | আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে কীভাবে পোস্টার করেছে- নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টার দিয়ে নির্বাচন করার অধিকার নেই কোনো দলের প্রার্থীদের। কিন্তু আমরা দেখছি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার ছবি দিয়ে বিএনপি প্রার্থীরা পোস্টার করছে।’
এরপর নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘একজন অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টার কীভাবে করা হয়?’
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুন বাগিচার কচিকাঁচার মেলার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের’ আলোচনা সভায় এই প্রশ্ন রাখেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আলোচনা সভায় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী লেভেল প্লেয়িং বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকদের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং কথাটি বারবার বলা হচ্ছে। তাই আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলতে চাই, লেভেল প্লেয়িং বলতে আসলে আমরা কী বুঝি?’
যে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি থাকে; সেই নির্বাচন কখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী।
তবে আওয়ামী লীগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ঘাতকরা সেই সুযোগ বঙ্গবন্ধুকে দেয়নি। তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের। খালেদা জিয়ার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে আমাদের মনে অনেক কষ্ট আছে। তারপরেও আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, তার মানে এই নয় এই ধরনের যুদ্ধাপরাধী আর স্বাধীনতাবিরোধীদের জনগণ মেনে নেবে। বাংলার মানুষ কখনো এই স্বাধীনতাবিরোধীদের মেনে নেবে না।’
জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গীতিকার সাফাত খৈয়াম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান সুলতান।
| আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে কীভাবে পোস্টার করেছে- নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। |
ময়মনসিংহে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ১৫০ খেলোয়াড় | ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে বুধবার রাত ৯টা ৫০মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ট্রেনের পরিচালক এবি সিদ্দিক।
জানা গেছে, ট্রেনটিতে ১৫০ জন খেলোয়াড় ও ২০ জন কর্মকর্তা ছিলেন। তবে অল্পের জন্য তারা রক্ষা পেয়েছেন।
এবি সিদ্দিক জানান, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেসের তিনটি বগি গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ পথে ইঞ্জিন ও একটি বগি পরের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেনের যাত্রী মাদারগঞ্জের ঝারকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আক্কাছ আলী জানান, ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন থেকে রাত ৯টা ৩০মিনিটের দিকে ছেড়ে আসে। আউটার সিগন্যালে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। ছাড়ার এক/দু মিনিটের মধ্যেই বিকট শব্দে লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরও জানান, ট্রেনটিতে প্রায় ১৫০ জন খেলোয়াড় ও ২০জন কর্মকর্তা ছিলেন। ৪৯তম জাতীয় স্কুল মাদরাসা ও কারিগরি সমিতির শীতকালীন প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের খেলা অংশ নিতে তারা কুমিল্লার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে তারা সবাই নিরাপদে আছেন।
গৌরীপুর স্টেশনের মাস্টার আব্দুর রশিদ যুগান্তরকে জানান, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে ময়মনসিংহ-গৌরীপুর, গৌরীপুর-ঢাকা রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন রওনা হয়েছে।
গৌরীপুর থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যুগান্তরকে জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
| ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। |
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যেভাবে প্রস্তত হচ্ছে টঙ্গী ময়দান | টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলীগ জামাতের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দফা দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের শীর্ষ মুরুব্বীদের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হবে শুক্রবার।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার সদস্যরে সমন্বয়ে গঠিত ৫ স্তরের নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আলমী শূরার তত্ত্বাবধানে মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের প্রথম দফা ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে গত রোববার।
তারা সোমবার রাতে ময়দান খালি করে চলে যাওয়ার পর দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী দ্বিতীয় দফার ইজতেমা। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় দফা তথা এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
এ পর্বের ইজতেমায়ও আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে ঈমান-আমলের ওপর তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় দেশি-বিদেশি আলেম-মাওলানাগণ গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করবেন।
মাগরিবে ইজতেমার দ্বিতীয় দফা গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মো. সায়েম জানান, মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী মনোনীত দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের ৩২ সদস্যবিশিষ্ট একটি জামাত বুধবার বাদ মাগরিব টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন। এ জামাতের নেতৃত্বে রয়েছেন দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের শূরা সদস্য মাওলানা আবদুস সাত্তার।
জামাতের অপর সদস্যরা হলেন মাওলানা শামীম আহমেদ, মাওলানা জামশেদ, মাওলানা মিয়াজী আজমত উল্লাহ, মাওলানা মুফতি শেহজাদ, মাওলানা রিয়াজুর রহমান, মাওলানা ইকবাল হাফিজ প্রমুখ। মুরুব্বীদের জামাতকে এস্তেকবাল (অভ্যর্থনা) জানান বাংলাদেশের শূরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম।
বিশ্ব ইজতেমার এ দফায়ও দেশের ৬৪টি জেলার কয়েক লাখ মুসল্লিসহ বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশের ১০ সহস্রাধিক মেহমান ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটি।
ইতিমধ্যে কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে বুধবার থেকেই মুসল্লিরা দলে দলে জামাতবন্দি হয়ে তুরাগ তীরে সমবেত হচ্ছেন।
বিশ্ব ইজতেমার নিয়ম অনুসারে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বয়ান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার ইজতেমার দায়িত্বে নিয়োজিত মুসল্লিদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান (নজমের বয়ান) করেন ভারতের মাওলানা মুফতি রিয়াজুর রহমান।
তিনি তার বয়ানে, আগত মুসল্লিরা যাতে কষ্ট না পায়, তাদের যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সে দিকে নজর রাখার জন্য তিনি ইজতেমার দায়িত্বে নিয়োজিত সাথীদের আহ্বান জানান।
দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জামাত তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তারা তাদের জন্য নির্ধারিত কর্মসূচি সুচারুরূপে পালন করছেন।
ময়দানের নজমের দায়িত্বে রয়েছে প্রকৌশলী শাহ মো. মুহিব্বুল্লাহসহ ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি। পানি ও গ্যাসের জামাতে রয়েছেন মো. আসাদুজ্জামানসহ ৯ জন, বিদ্যুতের জামাতে রয়েছেন প্রকৌশলী সুজাত আলীসহ ১৬ জন, মাইকের জামাতে রয়েছেন আফজাল হোসেন মোল্লাসহ ৭ জন, নিজামুদ্দিনের মুরুব্বীদের জামাতে রয়েছেন ডা. নাফিজসহ ৫ জন।
বিদেশি খিমার নজমের জামাতে রয়েছেন মাওলানা বোরহানসহ ৬ জন, আন্তর্জাতিক শূরার জামাতে রয়েছেন প্রফেসর আবদুল হান্নানসহ ৩ জন এবং বিদেশি মেহমানদের খেদমতের জামাতে মাওলানা সাইফুল্লাহসহ ৫ জন নিয়োজিত রয়েছেন।
এ বছর দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যে সমস্ত খিত্তায় অবস্থান করবেন তা হল- মিরপুর (খিত্তা-১, ২), সাভার (খিত্তা-৩ ও ৪), টঙ্গী (খিত্তা-৫), উত্তরা (খিত্তা-৬ ও ৭), কাকরাইল (খিত্তা-৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪), মোহাম্মদপুর (খিত্তা-১৫), যাত্রাবাড়ী (খিত্তা-১৬), ডেমরা (খিত্তা-১৭), কেরানীগঞ্জ (খিত্তা-১৮ ও ১৯), ধামরাই (খিত্তা-২০), নবাবগঞ্জ/দোহার (খিত্তা-২১), মানিকগঞ্জ (খিত্তা-২২), টাঙ্গাইল (খিত্তা-২৩), নারায়ণগঞ্জ (খিত্তা-২৪), নেত্রকোনা (খিত্তা-২৫), জামালপুর (খিত্তা-২৬), ময়মনসিংহ (খিত্তা-২৭), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা-২৮), শেরপুর (খিত্তা-২৯), গাজীপুর (খিত্তা-৩০), বগুড়া (খিত্তা-৩১), নরসিংদী (খিত্তা-৩২), নওগাঁ (খিত্তা-৩৩), রাজশাহী (খিত্তা-৩৪), নাটোর (খিত্তা-৩৫), সিলেট (খিত্তা-৩৮), সুনামগঞ্জ (খিত্তা-৩৯), হবিগঞ্জ (খিত্তা-৪০), মৌলভীবাজার (খিত্তা-৪১), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (খিত্তা-৪২), জয়পুরহাট (খিত্তা-৪৩), মুন্সিগঞ্জ (খিত্তা-৪৪), মাদারীপুর (খিত্তা-৪৫), শরীয়তপুর (খিত্তা-৪৬), রাজবাড়ী (খিত্তা-৪৭), ফরিদপুর (খিত্তা-৪৮), গোপালগঞ্জ (খিত্তা-৪৯), পঞ্চগড় (খিত্তা-৫০), নীলফামারী (খিত্তা-৫১), লালমনিরহাট (খিত্তা-৫২), গাইবান্ধা (খিত্তা-৫৩), কুড়িগ্রাম (খিত্তা-৫৪), ঠাকুরগাঁও (খিত্তা-৫৫), রংপুর (খিত্তা-৫৬), দিনাজপুর (খিত্তা-৫৭), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খিত্তা-৫৮), চাঁদপুর (খিত্তা-৫৯), খাগড়াছড়ি (খিত্তা-৬০), ফেনী (খিত্তা-৬১), রাঙ্গামাটি (খিত্তা-৬২), বান্দরবন (খিত্তা-৬৩), লক্ষ্মীপুর (খিত্তা-৬৪), নোয়াখালী (খিত্তা-৬৫), কুমিল্লা (খিত্তা-৬৬), কক্সবাজার (খিত্তা-৬৭), চট্টগ্রাম (খিত্তা-৬৮), চুয়াডাঙ্গা (খিত্তা-৬৯), কুষ্টিয়া (খিত্তা-৭০), খুলনা (খিত্তা-৭১), যশোর (খিত্তা-৭২), ঝালকাঠি (খিত্তা-৭৩), পটুয়াখালী (খিত্তা-৭৪), বরিশাল (খিত্তা-৭৫), ভোলা (খিত্তা-৭৬), বরগুনা (খিত্তা-৭৭) ও পিরোজপুর (খিত্তা-৭৮)।
তুরাগ নদের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত খিত্তাগুলো হল- পাবনা (খিত্তা-৩৬), সিরাজগঞ্জ (খিত্তা-৩৭), মাগুরা (খিত্তা-৭৯), সাতক্ষীরা (খিত্তা-৮০), নড়াইল (খিত্তা-৮১), ঝিনাইদহ (খিত্তা-৮২), বাগেরহাট (খিত্তা-৮৩) ও মেহেরপুর (খিত্তা-৮৪)।
এ ছাড়াও ৮৫, ৮৬ নং খিত্তা ও তুরাগ নদের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ৮৭ নং খিত্তাগুলো সংরক্ষিত খিত্তা হিসেবে রাখা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগী, আল্লাহুর জিকিরে মশগুল থাকবেন।
যাত্রাবাড়ী থেকে আসা আবুল হোসেন (৬৫) বলেন, জামাতবন্দি হয়ে ইজতেমায় এসেছি আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায়। আখেরি মোনাজাত শেষে আবার চিল্লার জামাতে বের হয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।
গাজীপুর থেকে আসা আবদুর রশীদ (৬০) বলেন, ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয়, তাই যতদিন বেঁচে থাকব ততদিনই ইজতেমায় অংশগ্রহণ করব।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা বিদেশি মুসল্লি মো. সামসুল আরেফিন (৫৫) জানান, প্রথম চিল্লা (নির্দিষ্ট সময়) বাংলাদেশ ও ২য় চিল্লা ভারতে তাবলীগের দাওয়াতের কাজ করে ইজতেমায় এসেছি। আল্লাহকে রাজি-খুশি করতে পারলে জিন্দেগি ও আখিরাত সহজ হবে। আখেরি মোনাজাতের পর আবার তৃতীয় চিল্লায় দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে যাব।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বী প্রকৌশলী শাহ মো. মুহিবুল্লাহ জানান, ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি টুকিটাকি যা আছে তা বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ইজতেমার আয়োজক তাবলীগ জামাতের স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুতি ছাড়াও ডেসকো, তিতাস, ওয়াসাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী সংস্থাগুলো তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে মাওলানা সাদ অনুসারীদের তিনদিনের বিশ্ব ইজতেমা।
| টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলীগ জামাতের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দফা দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের শীর্ষ মুরুব্বীদের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হবে শুক্রবার। |
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতি সম্পন্ন | চারদিন বিরতির পর কঠোর নিরাপত্তায় টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে।
তবে বৃহস্পতিবার বাদ আছরই শুরু হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রাক-বয়ান। এ পর্বে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমায় অংশ নিবেন।
রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
এ পর্বের প্রথমদিন শুক্রবারের জুমার নামাজেও লাখ লাখ মানুষ অংশ নেবেন ইজতেমা কর্তৃপক্ষের ধারণা।
এ পর্বেও মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে থাকছে বিশেষ ট্রেন ও বাস সার্ভিস। নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা সার্বিক বিশেষ ব্যবস্থা। প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে বিশ্ব ইজতেমার পুরো ময়দান সিসি ক্যামেরার আওতায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, তুরাগ পাড়ের প্রায় ১৬৫ একরেরও বেশি এলাকার বিশাল প্যান্ডেলজুড়ে ইজতেমার মূল সামিয়ানায় ২য় পর্বে মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যাতে করে দেশ-বিদেশ থেকে আগত মুসল্লিরা অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারেন। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সাদ অনুসারী মুসল্লিরাও অংশ নিয়েছেন মাঠ প্রস্তুতের জন্য।
তবলিগের বিভিন্ন মেয়াদের চিল্লায় থাকা আর ইজতেমার দাওয়াতের কাজে যারা ছিলেন সে সব মুসুল্লিও দলে দলে বৃহস্পতিবার আছরের আগেই ইজতেমা ময়দানে যোগ দেবেন।
তুরাগ নদে পারাপারের জন্য সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় প্রথম পর্বের আগেই ভাসমান ব্রিজ তৈরি মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য র্যাব-পুলিশের পক্ষ থেকে ২য় পর্বেও পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, সিসিটিভি রয়েছে। বিদেশিদের জন্য থাকছে আগের আলাদা স্বাস্থ্য ক্যাম্পও। বিদেশি নিবাসে গ্যাস সংযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বেও থাকছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার রাতে মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সরকার মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইজতেমা মাঠে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এর মধ্যে ১৩টি নলকূপের মাধ্যমে প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও প্রায় সাড়ে ৩ কোটি গ্যালন খাবার ও ওজু-গোসলের পানি সরবরাহ করবে। ৮ হাজারের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে টয়লেট ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বেও তারা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আমরা তাদের অবস্থানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে অবস্থান নিতে পারবেন।
বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইজতেমা ময়দানের পাশে নিউ মন্নু ফাইন কটন মিলে স্থাপন করা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। এ সব মেডিকেল ক্যাম্প থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মো. আনোয়ার হোসন বলেন, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় ইতিমধ্যে অধিকাংশ মুসল্লিরা আসছেন। এ পর্বের বিশ্ব ইজতেমায়ও প্রথম পর্বের মতো পুলিশ কাজ করছে। ইজতেমায় সার্বিকভাবে সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য গত পর্বের তুলনায় এ পর্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েনসহ পুরো ময়দান সিসিটিভি ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইজতেমার প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের নিকট থেকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের নিকট মাঠের সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। এ সময় সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ইজতেমার দু'পক্ষের মুরুব্বীরাও উপস্থিত ছিলেন।
তাবলীগের সাদপন্থী মুরুব্বী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় পুরো ময়দানকে ৮৩টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে আগের পর্বের মুসল্লিদের ফেলে যাওয়া ময়লা, আবর্জনা তথা নোংরা এবং মাঠে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের সঙ্গে তাবলিগের কর্মীরা মাঠকে ব্যবহার উপযোগী করেছে। বৃহস্পতিবার বাদ আছরের আগেই এ পর্বে অংশগ্রহণকারী চিল্লাধারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে যোগ দেবেন।
গত ১০ জানুয়ারি শুরু হয়েছে এবারের তিন দিনের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
| চারদিন বিরতির পর কঠোর নিরাপত্তায় টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে। |
স্বামীকে খুঁজতে চরফ্যাশন গিয়ে গৃহবধূ নিপীড়নের শিকার | কিশোরগঞ্জ থেকে স্বামীর খোঁজে ভোলার চরফ্যাশনে গিয়ে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কামাল মিস্ত্রির ছেলে নয়ন মিস্ত্রী (২৩) ও আনছারুল হক মাঝির ছেলে মনির মাঝি (২৫)।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তার স্বামী মিজানুর রহমানের বাড়ি চরফ্যাশনে। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় চরফ্যাশনের মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের কয়েক মাস পরে মিজানুর রহমান তাকে ফেলে চরফ্যাশন চলে আসে। তার খোঁজে ওই গৃহবধূ মঙ্গলবার ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাটে যান।
সেখান থেকে রিকশাচালক নয়ন স্বামীর খোঁজে ওই গৃহবধূকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে নিয়ে আসে। নয়নের সহযোগী মনিরকে ফোন করে এক পরিত্যক্ত বাড়ির বাগানে নিয়ে জোর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। তার ডাক-চিৎকার দিলে নয়ন ও তার সহযোগী মনির তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় ওই নারীকে উদ্ধার করে। পরে ৩ জনকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী। পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। অপরজন পলাতক রয়েছে।
চরফ্যাসন থানার ওসি সামসুল আরেফিন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
| কিশোরগঞ্জ থেকে স্বামীর খোঁজে ভোলার চরফ্যাশনে গিয়ে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। |
চড় মারার প্রতিশোধ নিতে বন্ধুদের হাতে নৃশংসভাবে স্কুলছাত্র খুন | মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নবম শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহিম মিয়া রকি (১৪) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে প্রতিপক্ষ বন্ধুর সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
এ নিয়ে বুধবার আটককৃত ২ যুবক মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রকাশ করেন।
এতে বলা হয়, বিগত এক মাস পূর্বে ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শহরের ভানুগাছ রোড়ের মাংস ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার ছেলে নিহত ইব্রাহিম মিয়া রকির সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে উপজেলার পশ্চিম খাসগাঁও গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে বন্ধু সাব্বিরের সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে রকি সাব্বিরকে চড়-থাপ্পড় মারে। ১ মাস পর সাব্বির ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় তার আরেক বন্ধু উপজেলার পশ্চিম খাসগাঁও গ্রামের মোখলেছ মিয়ার ছেলে ফয়সলকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনে বসে রকিকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাব্বির রকিকে ফোন করে তার অবস্থান জানতে চায়। রকি জানায়, সে ভানুগাছ সড়কের রেল গেটে রয়েছে। এরপর সাব্বির ও ফয়সল রকিকে এক বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে রকিকে ভুরভুরিয়া চা বাগানের ভেতর নিয়ে যায়।
এরপর সাব্বির ও ফয়সল রেকসিন সদৃশ্য স্কচটেপ দিয়ে রকির মুখ ও গলা পেঁচিয়ে প্রায় ১০ মিনিট বুকের ওপর বসে থাকে। এতে রকি নিস্তেজ হয়ে পড়লে সাব্বির তার গায়ের কালো রংয়ের চাদর ও কোমরের বেল্ট দিয়ে রকির গলা পেঁচিয়ে একটি কড়ই গাছের সঙ্গে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে তারা স্বীকার করে।
রকি মারা গেছে নিশ্চিত হলে সাব্বির ও ফয়সল বাড়ি চলে আসে। পরদিন মঙ্গলবার সকালে রকির লাশের খোঁজ পাওয়া গেলে সিনিয়র সহাকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ তদন্তে নামে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিমের গলায় পেঁচানো চাঁদর অপরাধীদের চিহ্নিত হওয়ার পর পুলিশ তা শনাক্ত করে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত এই হত্যার রহস্য উদঘাটনে সামর্থ্য হয় পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে চড়-থাপ্পড় এবং এই চড়-থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে সাব্বির ও ফয়সল রকিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
| মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নবম শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহিম মিয়া রকি (১৪) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে প্রতিপক্ষ বন্ধুর সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। |
স্কুলের টিচার যখন কেরানীগঞ্জের ইউএনও! | হাতে সময় পেলেই তিনি ছুটে যান কাছের কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়েন কোনো ক্লাসে। শুরু করেন ক্লাস নেয়া।
একজন পেশাদার শিক্ষকের মতই বাচ্চাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে মজার সব গল্পের মাধ্যমে বাচ্চাদের শিক্ষা দানে পটু তিনি। অংক আর ইংরেজির ক্লাস নিতে বিভিন্ন স্কুলে ছুটে চলা এই ব্যক্তি হলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ।
৩০তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এক সময় ইচ্ছে ছিল শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু হয়েছেন সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা। কিন্তু শিক্ষকতা করার সুপ্ত বাসনা এখনও হৃদয়ে ধারণ করেন তিনি। আর এজন্য সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই চলে যান কোনো স্কুলে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায় ডাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংকের ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অমিত দেবনাথ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর (স্থানীয় এমপি) একটা প্রোগ্রাম আছে। এসে দেখি সাড়ে ১০ বাজে। এক ঘণ্টা সময় হাতে আছে। এজন্য পাশের এই স্কুলে পড়াতে চলে এসেছি।
ইউএনও বলেন, বাচ্চাদের পড়াতে খুব ভালো লাগে। শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় ভাবতাম শিক্ষক হবো। সেটা হতে পারিনি। কিন্তু যখনই সুযোগ পেয়েছি বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে পড়াই। ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়ানো অসাধারণ ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, এতে দুটি লাভ হয়। এক. বাচ্চাদের পড়াতে পারছি। দুই. ওই স্কুলে কোনো সমস্যা আছে কিনা? সেটাও সরেজমিন জানা যায়। যেমন আজকে ডাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারলাম, স্কুলের পাশে তিনটি সিটকাটিং কারখানা রয়েছে। এগুলোর শব্দে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল চলাকালে কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।
| হাতে সময় পেলেই তিনি ছুটে যান কাছের কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়েন কোনো ক্লাসে। শুরু করেন ক্লাস নেয়া। |
বিশ্ব ইজতেমায় পাওয়া গেল সূর্য ও জান্নাত নামে ২ শিশু | টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে প্রায় তিন বছর বয়সী ফুটফুটে দুটি শিশু পাওয়া গেছে। এদের একজনের নাম সূর্য ও অপরটির নাম হাফিজাতুল জান্নাত। প্রায় সমবয়সী শিশু দুটি গত মঙ্গলবার বিকালে ইজতেমা ময়দানে খেলা করছিল।
ইজতেমায় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শিশু দুটি ঠিকানা বলতে না পারায় ইজতেমার মুসল্লিরা মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেরকে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, শিশু দুটি থানায় অভিভাবকদের জন্য কান্নাকাটি করছে। তারা ঠিকানা বলতে পারছে না।
শিশু হাফিজা শুধু বাবার নাম হাবিবুর রহমান ও মাতার নাম সাজেদা বলতে পারছে। তাদের অভিভাবকদের সন্ধানের জন্য বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যে মেসেজ দেয়া হয়েছে।
| টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে প্রায় তিন বছর বয়সী ফুটফুটে দুটি শিশু পাওয়া গেছে। এদের একজনের নাম সূর্য ও অপরটির নাম হাফিজাতুল জান্নাত। প্রায় সমবয়সী শিশু দুটি গত মঙ্গলবার বিকালে ইজতেমা ময়দানে খেলা করছিল। |
ময়মনসিংহে স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা | ময়মনসিংহে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর খাগডহর ফকিরবাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম।
তিনি জানান, খাগডহর ফকিরবাড়ির শফিকুল ইসলাম শাহিন তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩৮) কন্যা নাফিয়া আক্তারকে (১২) বসতঘরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনা বড় মেয়ে লাবণ্য দেখে ফেলায় তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে শাহিন পালিয়ে যায়। পুলিশ মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। লাবণ্যকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ঘাতক শফিকুল ইসলাম শাহিনকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি মাহমুদুল ইসলাম।
| ময়মনসিংহে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর খাগডহর ফকিরবাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম। |
একযুগেরও বেশি শেকলবন্দি ইজাজুল! | কোনো অপরাধী নন, তবুও প্রায় একযুগেরও অধিক সময় ধরে শেকলবন্দি হয়ে আছেন ইজাজুল ইসলাম ওরফে কালু (৪০)। তিনি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক।
প্রতিদিন সকালে বাড়ির সামনের গাছতলায় শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় তাকে। আর রাত হলে বাড়ির বাইরে উঠানের মাঝে একটি ভাঙ্গাচোরা পাটকাঠির বেড়া দিয়ে তৈরি টিনের ছাপড়া ঘরে ঘুমহীন রাত কাটে তার।
ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে মানুষের দিকে। কথা বলতে চায় সবার সঙ্গে। বাবা-মা বেঁচে থাকতে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু তারা মারা যাওয়ায় এখন চিকিৎসা বন্ধ।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের মৃত মনতাজ প্রামাণিকের ছেলে ইজাজুল পরিবারের কাছে এখন বোঝায় পরিণত হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারতেন ইজাজুল। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে স্বজনরা চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমনই দাবি তাদের।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ৬ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে চতুর্থ ইজাজুল। জন্মের কয়েক বছর পর ইজাজুলের মানসিক ভারসাম্য হারানোর বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে ইজাজুল। বাবা ছিলেন দরিদ্র কৃষক। অর্থাভাবের মধ্যেও ছেলেকে (ইজাজুল) সুস্থ করতে স্থানীয় চিকিৎসক ও কবিরাজকে দিয়ে চিকিৎসা করান। কিন্তু সুস্থ না হওয়ায় পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। ওষুধ খাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয় ইজাজুল।
এ দিকে মারা যান বাবা মনতাজ প্রামাণিক। অন্য ভাইয়েরা বিয়ে করে সংসার নিয়ে আলাদা হয়ে যান। বন্ধ হয়ে যায় ইজাজুলের চিকিৎসা। প্রতিবেশীরা স্বজনদের কাছে নানা অভিযোগ করা শুরু করে। এর মধ্যে কোনো একদিন পথ হারিয়ে নিখোঁজ হন ইজাজুল। প্রায় ছয় মাস পর অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্বজনরা তাকে খুঁজে পেয়ে শেকলবন্দি করে রাখা শুরু করে।
সেই থেকেই শেকলবন্দি জীবন শুরু হয় ইজাজুলের। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে আগলে রাখেন মা তছিরন খাতুন। মা-ই ছিলেন ইজাজুলের একমাত্র ভরসা। কিন্তু সে সুখও কপালে সয়নি তার। বছরচারেক আগে তছিরন খাতুন মারা যাওয়ায় ইজাজুলের কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমাদেরও সংসার আছে। বাবা বেঁচে থাকতে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে সরকারি সহায়তায় পেলে এবং উন্নত চিকিৎসা দেয়া গেলে হয়তো ভাই (ইজাজুল) সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ইজাজুল নামের ওই যুবকের শেকলবন্দি অবস্থার খবর পেয়ে আমি দেখতে গিয়েছিলাম। তাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু শীতের মধ্যে যেভাবে সে ভাঙ্গা ঘরে শেকলবন্দি অবস্থায় থাকে সেটা দেখে খুব কষ্ট লেগেছে। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
| কোনো অপরাধী নন, তবুও প্রায় একযুগেরও অধিক সময় ধরে শেকলবন্দি হয়ে আছেন ইজাজুল ইসলাম ওরফে কালু (৪০)। তিনি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক। |
দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের ধাওয়ায় গরু ব্যবসায়ী নিহত | কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারত থেকে গরু পাচারের সময় ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে জিঞ্জিরাম নদীতে লাফ দিয়ে খয়বর হোসেন (৪৮) নামের এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
নিহত খয়বর উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের নজির তেলির ছেলে।
রৌমারী থানার ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইমাম বলেন, আমরা বিজিবির কাছ থেকে লাশটি পেয়ে রৌমারী থানায় নিয়ে এসেছি।
সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার মিজানুর রহমান জানান, বুধবার ভোররাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা সীমান্তের ১০৫৭ আন্তর্জাতিক পিলারের কাছে গরু আনতে যান ১০-১২ জন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী।
এ সময় সীমান্তের নিকটবর্তী বিজিবির টহলদলকে দেখে তারা আত্মগোপন করতে বিভিন্ন দিকে লুকিয়ে পড়েন। কিন্তু খয়বর হোসেন ভুল করে ভারতের সীমানায় ঢুকে পড়েন। ভারতের কুকুরমরার বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা খয়বর হোসেনকে দেখে ধাওয়া দেয়।
এ সময় খয়বর হোসেন জীবন বাঁচাতে দৌড়ে গিয়ে ব্রিজের ওপর থেকে জিঞ্জিরাম নদীতে লাফ দেন। ঘটনার সময় থেকে নিখোঁজ থাকার পর দুপুর আড়াইটার দিকে জিঞ্জিরাম নদী থেকে ওই গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে বিজিবি।
জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত খয়বরের লাশ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
| কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারত থেকে গরু পাচারের সময় ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে জিঞ্জিরাম নদীতে লাফ দিয়ে খয়বর হোসেন (৪৮) নামের এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। |
বিশ্বনাথে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দিতে আসেন প্রবাসীরাও | সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব পালিত হয়েছে। পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দিতে অনেক প্রবাসী দেশে আসেন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের গোয়াহরি নামের বিলে ওই পলো বাওয়া উৎসব করেন এলাকাবাসী।
প্রতি বছরের পহেলা মাঘ গোয়াহরি গ্রামের লোকজন তাদের বাবা-দাদার ঐতিহ্য হিসেবে এই উৎসব পালন করে থাকেন। সময় হলে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গ্রামের অনেক প্রবাসীরাও সপরিবারে দেশে চলে আসেন।
উৎসবের দিন পলো আর জালসহ মাছ ধরার নানা জিনিস নিয়ে লোকজন ভোর থেকে বিলের পাড়ে গিয়ে সমবেত হতে থাকেন। উৎসবটি একনজর দেখার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন সেখানে গিয়ে ভিড় জমান।
ঘোষণা অনুযায়ী সময় হলেই একসঙ্গে পলো আর জাল নিয়ে বিলে ঝাঁপিয়ে পড়েন উৎসবপ্রেমী লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবারও ওই বিলে পলো বাওয়া উৎসবে মেতে ওঠেন এলাকাবাসী।
এ সময় অনেকের পলোতে ধরা পড়ে বোয়াল, রুই, কাতলা, গজার, বোয়াল, শৈল, মৃগেল, ব্রিগেড, কার্ফু, বাউস, ঘনিয়া, তেলাপিয়াসহ ছোট-বড় বিভিন্ন জাতের মাছ। মাছ ধরা দেখতে বিলের পাড়ে শিশু থেকে শুরু করে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমবেত হতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে গোয়াহরি গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আর উল নামের একজন বলেন, পলো বাওয়া এই উৎসবটি তাদের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য। তাই তিনি এই উৎসব দেখতে কিছুদিন পূর্বে দেশে আসেন।
| সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব পালিত হয়েছে। পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দিতে অনেক প্রবাসী দেশে আসেন। |
আখাউড়া ইউএনওর অপসারণ দাবিতে বি.বাড়িয়ায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে এই মামলার ঘটনায় ইন্ধনের অভিযোগে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করা হয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আখাউড়া ইউএনও।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি খআম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আবদুন নূর, সিনিয়র সাংবাদিক জাবেদ রহিম বিজন, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিম মিশু, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হান্নান খাদেম, আখাউড়া টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনার ইন্ধনে সাংবাদিক হান্নান খাদেম ও মহিউদ্দিন মিশুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন একজন শিক্ষক। সংবাদ প্রকাশের ২৫ দিন পর মামলাটি করিয়েছেন। তিনি বিষয়টি সমাধান করে দেবেন বলে সভা ডেকেও তা সমাধান করেননি।
অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনার দ্রুত অপসারণ দাবি করেন বক্তারা। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেয়া হয় মানববন্ধনে।
এ বিষয়টি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাংবাদিক সমাজ।
পরে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে জানান, বসার পরিবেশ তৈরি করতে পারেননি সাংবাদিকরা। তাই বসা হয়নি।
তিনি বলেন, অপসারণ চাইতেই পারেন। তাদের স্বাধীনতা আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর জেএসসির গণিত পরীক্ষা চলাকালে পেশাগত কাজে জেলার আখাউড়া রেলওয়ে স্কুল কেন্দ্রে যান সাংবাদিক হান্নান খাদেম ও মহিউদ্দিন মিশু। পরের দিন ১৫ নভেম্বর জাতীয় দৈনিকে ওই কেন্দ্রের নকলের সংবাদ প্রকাশ করেন।
নকলের সংবাদ প্রকাশ করায় ২৫ দিন পর মামলা করেন আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ইকবাল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাংবাদিকরা জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু মামলার বাদী ওই দিন ওই কেন্দ্রে ডিউটিতে ছিলেন না। এমনকি তিনি ওই কেন্দ্রেও ছিলেন না। ওই কেন্দ্রের সচিব, সহকারী সচিব বা ডিউটিরত কোনো শিক্ষক মামলা করেননি।
| ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ। |
সিলেটে মাওলানা আজহারীর সব ওয়াজ নিষিদ্ধ | সময়ের আলোচিত বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সব ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়।
বৈঠকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও আলেম, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি সিলেট কানাইঘাটের মুকিগঞ্জ বাজার জামেয়া মাঠে অনুষ্ঠিতব্য তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আজহারীকে প্রধান অতিথি করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে প্রশাসন কানাইঘাটে আজহারীর আগমন স্থগিত করে দেয়।
ওই দিন দরবস্তের হাজারী সেনাগ্রাম মাঠ, ওসমানীনগরসহ ৩টি মাহফিলে বয়ান করার কথা ছিল মাওলানা আজহারীর।
এমন খবরে কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় চাপা উত্তেজনা দেখা দিলে বুধবার বৈঠক ডেকে আজহারীর আগমন স্থগিত করে দেয় প্রশাসন।
বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিজানুর রহমান আজহারীর বিভিন্ন বিতর্কিত ওয়াজ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেহেতু আজহারীর বয়ান বিতর্ক তৈরি করছে, সুতরাং সিলেটে আজহারীর অনুষ্ঠিতব্য সব মাহফিলে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে সিলেটে কোনো ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আলীম উদ্দিন দুর্লভপুরী, হরিপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হিলাল আহমদ, হেমু দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জিল্লুর রহমান, দরবস্ত মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু হানিফ, জৈন্তাপুর লাম্নিগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম আবদুল জব্বার, হরিপুর মাদ্রাসার শায়খুল হাদিছ মাওলানা নজরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলা উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক ফয়েজ আহমদ বাবর, উপ-দফতর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, কানাইঘাট উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ শাকের, কানাইঘাট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, ব্যবসায়ী ফারুক আহমদ।
কানাইঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম বলেন, আজহারীর ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে এই বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে আজহারীর সিলেট আগমন স্থগিত করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার কানাইঘাট দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় সভা করে আজহারীকে ‘ইসলামবিরোধী ফতোয়াবাজ’ আখ্যা দিয়ে কানাইঘাটে তাকে প্রতিরোধের ডাক দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কানাইঘাট দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস।
বক্তব্য রাখেন শায়খুল হাদিস আল্লামা আলিমুদ্দীন শায়খে দুর্লভপুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জামাল উদ্দীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল্লাহ শাকির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএইচ আবদুল্লাহ, আল্লামা শামসুদ্দীন দুর্লভপুরীসহ সিলেটের কয়েকজন শীর্ষ আলেম।
অপরদিকে কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ একটি প্রতিনিধি দল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান ও থানার ওসি শামসুদ্দোহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা কানাইঘাটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
| সময়ের আলোচিত বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সব ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। |
কিশোরগঞ্জে বাবা-মাকে মারধর করায় ইমামকে কারাদণ্ড | নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাবা-মাকে মারধর করায় হাফেজ মাহমুদুল ইসলাম বাদশা নামে মসজিদের ইমামকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
হাফেজ মাহমুদুল ইসলাম বাদশা গাড়াগ্রাম পোদ্দারপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ তহির উদ্দিনের ছেলে ও পুটিমারীর ভেড়ভেড়ি আউলাকুটি মসজিদের ইমাম।
অভিযোগে জানা গেছে, পারিবারিক কলহে হাফেজ মাহমুদুল ইসলাম বাদশা প্রায়ই বাবা-মাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। মঙ্গলবার বাবা তহির উদ্দিনকে (৭০) মারধরের সময় মা বাকতোন বেগম (৬৫) এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে ছেলে।
এ ঘটনায় তহির উদ্দিন ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাদশাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি এম হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
| নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাবা-মাকে মারধর করায় হাফেজ মাহমুদুল ইসলাম বাদশা নামে মসজিদের ইমামকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। |
বিয়ে করায় ছেলেদের পিটুনিতে হাসপাতালে বৃদ্ধ মালেক | প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলেকে তিন বিঘা জমি দিয়েছেন আবদুল মালেক (৮৮)। বাকী পাঁচ বিঘা নিজেরই আছে। সন্তানরা খোঁজখবর না নেয়ায় সম্প্রতি তিনি বিয়ে করেছেন।
জমির জন্য প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে ও তাদের স্ত্রীরা চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু জমি দিতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার আবদুল মালেককে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ছেলে ও তার স্ত্রীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের স্কুলপাড়ায়। ওই বৃদ্ধকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আবদুল মালেক বলেন, আমার দুই ছেলে মারুফ ও মনিরুল মুগুর দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মেরেছে। তাদের স্ত্রীদের সহযোগিতায় আমাকে মারা হয়। পা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। আমি ওদের নামে মামলা করবো। আট বিঘে জমির মধ্যে তিন বিঘে ওদের দিয়েছি। এখন ওদের আরও জমি দিতে হবে বলে আমাকে মারল।
স্থানীয়রা জানায়, আবদুল মালেক ৮৮ বছর বয়সে আবার বিয়ে করেছেন। এতে তার ছেলেদের সম্মান গেছে। তাছাড়া ছেলেদের নতুন মা জমিসহ সম্পত্তির ভাগীদার হয়েছেন। এসব কারণে বেশ কিছুদিন ধরে বাবার সঙ্গে ছেলেদের বিরোধ চলছিল। এসব নিয়ে একাধিকবার শালিসও হয়েছে। মালেকের আট বিঘে জমি আছে। এর মধ্যে নিজে পাঁচ বিঘা জমি ভোগ করেন। ছেলেদের দিয়েছেন তিন বিঘা, তবে তা মুখে মুখে। ছেলেদের জমি লিখে না দেয়ায় আজকের এই ঘটনা।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, আহত মালেকের শরীরে চাপা আঘাত করা হয়েছে। তার পায়ে অনেকটা ক্ষতও আছে। তবে তিনি শংকামুক্ত আছেন।
উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আবদুল লতিফ বলেন, এ রকম ঘটনা আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
| প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলেকে তিন বিঘা জমি দিয়েছেন আবদুল মালেক (৮৮)। বাকী পাঁচ বিঘা নিজেরই আছে। সন্তানরা খোঁজখবর না নেয়ায় সম্প্রতি তিনি বিয়ে করেছেন। |
মাদ্রাসার সভাপতি হতে না পেরে ভাংচুর ও লুটপাট চালাল যুবলীগ নেতা | পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হতে না পেরে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে মাদ্রাসায় ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিম কলারন আজাহার আলী দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর ধরে এই মাদ্রাসাটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান। গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদের উপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মিজান। শিক্ষকদের হুমকি দিতে থাকেন। মিজানের ভয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান মঙ্গলবার মাদ্রাসাটি বন্ধ রাখেন। আবারও বুধবার বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে এসে মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সালামের কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজগপত্র দেখতে চান মিজান।
এ সময় সুপার সব নথিপত্র বিকালে একটি কপি তাকে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু তারপরও ওই সময়েই সবকিছু তাকে দেখাতে চাপ সৃষ্টি করেন। চাপের মুখে পড়ে মিজানকে সব নথিপত্র দেখান সুপার। এ সময় কাগজপত্র দেখতে দেখতে সব গুছিয়ে নিয়ে দৌড়ে বের হয়ে যায় মিজান।
এ সময় সুপার আব্দুস সালাম তার পিছু নিতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। একটু পরে মিজান তার লোকজন নিয়ে ফিরে এসে হামলা চালায়। মাদ্রাসা ভবনে সবাইকে অবরুদ্ধ করে শ্রেণি ও অফিস কক্ষে ভাংচুর করেন মিজান ও তার লোকজন। এ সময় মিজানের হাতে বড় একটি রামদা ছিল বলে অভিযোগ করেন মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম।
এ বিষয়ে উত্তর-পশ্চিম কলারন আজাহার আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. আব্দুস সালাম জানান, বেশকিছু লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় এসে হামলা চালান এই যুবলীগ নেতা। এ সময় মাদ্রাসার বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন মিজান ও তার লোকজন। এমনকি মাদ্রাসার অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে বেশকিছু কাগজপত্র লুটে নেন তিনি। এ সময় শিক্ষকদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জানান, আমার নেতৃত্বে মাদ্রাসায় কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। উল্টো মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির খোকা, সামসু হাওলাদার, বাদল নামের কিছু লোক আমার ছেলে ও মায়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে। বর্তমানেও আমি এ মাদ্রাসার সভাপতি।
বুধবার সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে একজন শিক্ষক অনুপস্থিত দেখে সুপারকে হাজিরা খাতা নিয়ে আসতে বলি। ওই শিক্ষককে অনুপস্থিত দেখাতে বলি হাজিরা খাতায়। এ সময় মাদ্রাসার কয়েকজন লোক এসে আমি কেন মাদ্রাসায় এসেছি তাই জানতে চায়। তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। আমাকে হুমকি দিতে থাকে।
এ খবর জানতে পেরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধারের জন্য মাদ্রাসায় আসলে আমার মা ও আমার ছেলের উপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করা হয়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। মাদ্রাসায় কয়েকটি চেয়ার ভাংচুরের খবর পেয়েছি। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সন্ধ্যায় মাদ্রাসার কর্তৃকপক্ষ একটি লিখিত কাগজ জমা দিয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে।
| পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হতে না পেরে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে মাদ্রাসায় ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। |
শেরপুরে রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন | বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার ৫ ও ৮ নং ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনের সংস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মুন-ই-রাফি গার্ডেন সিটির মালিক আবু নাছের ইসতিয়াক জিমি।
লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জানান, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার মহাসড়ক থেকে পুরনো বাঁশপট্টি হয়ে বৈকাল বাজারের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পৌরসভায় যাওয়া রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। রাস্তাটিতে বৃষ্টির মৌসুম ছাড়াই রাস্তার ওপর সব সময় জমে থাকে ময়লা-আবর্জনাসহ দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এ রাস্তার দু-পাশে হওয়ায়, রাস্তায় জমে থাকা পচা পানির দুর্গন্ধে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং আমরা আক্রান্ত হচ্ছি বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে। তাছাড়াও দুর্গন্ধযুক্ত পচা পানি রাস্তার ওপরে জমে থাকার কারণে সাধারণ পথচারীসহ ক্রেতা সাধারণের চলাফেরার অনুপযোগী হওয়ায় আমরা ব্যাপকভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে পৌরসভার হলরুমে ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হলেও সেই বাজেটে পৌরসভার উন্নয়নের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বগুড়ার শেরপুর পৌরসভাটি বতর্মানে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। বর্তমানে পৌরসভার রাস্তা-ঘাটসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার চরম বেহাল দশা। বৃষ্টি-বাদল ছাড়াই রাস্তার ওপর জমে থাকে প্রায় এক হাঁটু পর্যন্ত পানি। এমন চিত্রই ভেসে উঠেছে শেরপুর পৌরসভার মহাসড়ক থেকে পুরনো বাঁশপট্টি হয়ে বৈকাল বাজারের মধ্যে থেকে পৌরসভা বরাবর যাওয়ার রাস্তাটির।
আর এ রাস্তায়, জমে থাকা পানি শুধু পচা দুর্গন্ধই না, সঙ্গে রীতিমতো প্রস্রাবের দুর্গন্ধ ছড়ায়। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে, শুধু ঝুঁকিপূর্ণই নয়, উল্লেখিত এ স্থানটুকু পায়ে হেঁটে পারাপার হতে হিমশিম খেতে হয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ চলাচলরত সাধারণ পথযাত্রীদের।
রাস্তাটির এমন বেহাল দশা দেখে রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মার্কেটের মালিকগণ, বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করলেও পৌরসভার কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট মালিকরা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীরা দুর্যোগপূর্ণ সংকট হতে পৌরসভার মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে এ সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুন ইরাফি গার্ডেন সিটি মার্কেটের স্বত্তাধিকারী আবু নাছের ইসতিয়াক জিমি, সৈয়দা কমপ্লেক্সের স্বত্তাধিকারী মো. সেলিম, উওরা প্লাজা (বর্ধিত) মার্কেটের স্বত্তাধিকারী শহিদুল ইসলাম, উওরা প্লাজা মার্কেটের স্বত্তাধিকারী মো. নফেল, কিশোর ইন্টারপ্রাইজের মালিক শংকর বাবু, যমুনা জুয়েলারীর মালিক উত্তম ও তাসিন ইন্টারপ্রাইজের মালিক পারভেজ রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন জন, প্রিন্স, সোহেল, সুমন, কাইছার, জিকু, কি নাম হোটেলের মালিক আ. হালিম, দোকান মালিক, সাংবাদিক এবং ৫ ও ৮ নং ওয়ার্ডবাসী।
| বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার ৫ ও ৮ নং ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনের সংস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। |