title
stringlengths
10
148
text
stringlengths
14
34.6k
summary
stringlengths
1
7.08k
যশোরে বিদ্যুৎস্পর্শ থেকে বাঁচাতে গিয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু
যশোরের কেশবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার কেশবপুর উপজেলার টিটাবাজিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহতরা ওই গ্রামের আব্দুল আলিম মোড়লের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম (৩৫) ও ছেলে আল আমীন (১৯)। আল আমিন হিজলডাঙ্গা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।  কেশবপুর থানার ওসি মো. আবু সাঈদ জানান, বুধবার দুপুরে আল আমীন নলকূপের মোটরের ফিউজ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার মা জ্যোৎস্না বেগমও ছেলের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয়।
যশোরের কেশবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জে বাবা-মা বিয়ের দাওয়াতে, বাড়িতে শিশুর আত্মহত্যা
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পল্লীতে আকলিমা (১০) নামে এক শিশু নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সময় ওই শিশুর বাবা ও মা বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার বিকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কিরণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকলিমা ওই গ্রামের আক্তার মিয়ার মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকালে আকলিমার ছোট ভাইয়ের কান্নাকাটি ও হাউমাউ শোনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে আকলিমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুর লাশ উদ্ধার করে। তবে কেন শিশুটি আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় নিহত আকলিমার মা বাবা একই ইউনিয়নের ভাওয়ালীপাড়া গ্রামে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাচ্ছিলেন। বাড়িতে শুধু আকলিমা ও তার ছোট ভাই অবস্থান করছিল। দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম বলেন, আকলিমার লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পল্লীতে আকলিমা (১০) নামে এক শিশু নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সময় ওই শিশুর বাবা ও মা বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলেন।
খেলাপি ঋণের মামলার হাজিরার দিন বন্দুকের গুলিতে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে খেলাপি ঋণের মামলার হাজিরার দিন নিজের বন্দুকের গুলিতে এনামুল হক (৫৭) নামে রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোতলার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল হক জেলা শহরের পুরান বাজারের মেসার্স সাজ্জাদ আহম্মেদ অ্যান্ড সন্সের মালিক এবং মৃত সাজ্জাদ আলীর ছেলে।  চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি জিয়াউর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি ব্যাংকে কোটি টাকার ঋণ রয়েছে এবং ঋণ খেলাপির দায়ে মামলায় আজ বুধবার তার হাজিরার দিন ছিল। পুলিশের ধারণা ঋণের কারণে হতাশ হয়ে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। তিনি আরও জানান, বুধবার দুপুরে রাজশাহী থেকে ক্রাইম সিনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে খেলাপি ঋণের মামলার হাজিরার দিন নিজের বন্দুকের গুলিতে এনামুল হক (৫৭) নামে রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোতলার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজী মামলায় যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৬
ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজী মামলায় দেশীয় অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকার বাসা থেকে জেলা যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ও বিভিন্ন স্থান থেকে অন্যদের গ্রেফতার করা হয়।  গত ৫ জানুয়ারি সদর উপজেলার বিকনা গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার কালাম হোসেন বাদী হয়ে সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ ৭ জনকে এ মামলা দায়ের করেন।  গ্রেফতারকৃতরা- হলেন যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, যুবলীগকর্মী সাইফুল ইসলাম, মামুন খান, মামুনুর রশীদ ও পলাশ দাস। পুলিশ জানায়, কালাম হোসেনের ঠিকাদারি কাজে বিভিন্ন সময় বাধা দিয়ে আসছিল যুবলীগ নেতা হাদিসুর রহমান মিলন। কাজ করতে হলে তাকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে বলেও হুমকি দেয় মিলন। টাকা না দেয়ায় গত ৫ জানুয়ারি মিলন ও তার লোকজন এলজিইডি ভবনের সামনে ঠিকাদার কামাল হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।  এ ছাড়াও সৈয়দ মিলনের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর, সন্ত্রাসী বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।  ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, মিলনের বাসা থেকে ১২টি বগি দা ও রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।  তাদের কাছে আরও অস্ত্র রয়েছে, তাই এ সব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। আসামিদের জিজ্ঞাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি।
ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজী মামলায় দেশীয় অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে পেটাল এসআই
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় কম্পিউটার সামগ্রী ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসান জীবনকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কটিয়াদী মডেল থানার এসআই মস্তোফা কামালের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আবুল হাসান জীবন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত পৌঁনে ১১টায় থানা সংলগ্ন একটি বাসায়। জানা যায়, আবুল হাসান জীবন মারধরের বিচার, পাওনা টাকা আদায় ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার  লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ নভেম্বর কটিয়াদী মডেল থানার এসআই মস্তোফা কামাল কটিয়াদী বাজারের কলেজ রোডের মাস্টার কম্পিউটার সেলস অ্যান্ড সার্ভিস থেকে ছয় হাজার টাকায় একটি প্রিন্টার ক্রয় করেন।  মাস্টার কম্পিউটারের মালিক প্রিন্টারটি সেটিং করে দেয়ার পর নগদ ৪ হাজার টাকা দেন এবং বাকি দুই হাজার টাকা পরবর্তী সপ্তাহে দেবেন বলে জানান মস্তোফা কামাল। ১০-১৫ দিন পরে এসআই মস্তোফা কামালের কাছে বাকি দুই হাজার টাকা চাইলে তিনি আবুল হাসান জীবনকে বলেন, তুমি আমার কাছে কোনো টাকা পাবে না, যদি টাকা দিতে হয় আমি বদলি হয়ে গেলে সেদিন টাকা পাবে।  এ সময় জীবন কোনো কথা না বলে চলে আসেন। এ ঘটনার ১০ দিন পর জীবন তার ভগ্নীপতি আবু সাইদ সৈয়দ মিয়াকে টাকার জন্য এসআই মস্তোফা কামালের নিকট পাঠালে তিনি তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং জীবনকে দেখা করতে বলেন।  ঘটনার দিন রোববার জীবন তার ভগ্নীপতিকে নিয়ে সুবল দাস নামের একজনের বাসায় এসআই মস্তোফা কামালের সঙ্গে দেখা করে পাওনা টাকা চান। এ সময় এসআই পাওনাদার জীবনকে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করেন।  জীবন এ সবের প্রতিবাদ করলে তাকে ঘাড় ধরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে লাথি মারে এবং বলে আবার টাকা চাইতে আসলে তোরে পিটিয়ে বাপের নাম ভুলিয়ে দেব। তোকে মাদকদ্রব্য দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে জীবনের মতো ব্যবসা বন্ধ করে দেব।  ব্যবসায়ী আবুল হাসান জীবন বলেন, এ ঘটনার পর আমার পাওনা টাকা উদ্ধার, আমাকে মারধরের বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেছি।  এসআই মস্তোফা কামাল বলেন, জীবন আমার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তার কাছ থেকে একটি প্রিন্টার কিনেছিলাম। কিন্তু প্রিন্টারটি ভালো সার্ভিস না দেয়ায় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধর করার বিষয়টি ঠিক না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসেনপুর সার্কেল সোনাহর আলী বলেন, আমি ছুটিতে আছি। তবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে এসআই মস্তোফা কামালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় কম্পিউটার সামগ্রী ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসান জীবনকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কটিয়াদী মডেল থানার এসআই মস্তোফা কামালের বিরুদ্ধে।
নরসিংদীতে ৫০০০ টাকার জন্য কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীতে ধারের ৫ হাজার টাকা নিয়ে ইয়াসিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের ইনডেক্স প্লাজার সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন মিয়া শহরের পশ্চিম দত্তপাড়ার এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে। রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন আড়াইহাজারের আবদুল্লাহপুর এলাকার জহুর আলমের ছেলে মারুফ আল হোসাইন ওরফে মোটা ফারুখ (২১), মনোহরদী একদুয়ারিয়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন আদনান (২১), সদর উপজেলার নাগরিয়াকান্দি এলাকার মোর্শেদ আলমের ছেলে মারুফ ওরফে ভাগিনা মারুফ (২০), পৌর শহরের বানিয়াছল এলাকার গাজী আসাদের ছেলে শোয়েব (৩৫)। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, নিহতের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন ওই চারজন। ঘটনার ৯ মাস পূর্বে মারুফ আল হোসাইন ওরফে মোটা ফারুখ তাদের বন্ধু আলিফকে ৫ হাজার টাকা ধার দেয়। পরবর্তীকালে আলিফ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তার ডিএসএলআর ক্যামেরাটি ভাগিনা মারুফের নিকট বন্ধক দেয়। এই ক্যামেরা নিয়ে তাদের মধ্যে সোমবার ঝগড়া হয়। এ সময় ইয়াসিন ও আলিফের বন্ধুরা ভাগিনা মারুফ ও দেলোয়ারকে মারধোর করে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেলোয়ার ও ভাগিনা মারুফের পরামর্শে মোটা ফারুখ ইয়াসিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। গোয়েন্দা পুলিশের এসআই  রূপম কুমার সরকার বলেন, নিহতের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা প্রত্যেকেই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নরসিংদীতে ধারের ৫ হাজার টাকা নিয়ে ইয়াসিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মহেশপুর সীমান্তে ইছামতি নদীতে বাংলাদেশি যুবকের লাশ
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে হৃদয় হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হৃদয় হোসেন মহেশপুরের পলিয়ানপুর গ্রামের সবুর আলীর ছেলে। ঝিনাইদহের কোটচাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক জানান, বুধবার সকালে মহেশপুরের পলিয়ানপুর সীমান্তের ইছামতি নদীতে স্থানীয়রা ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার লাশ উদ্ধার করে। মৃত হৃদয় হোসেন অবৈধভাবে ভারত থেকে ইছামতি নদী  পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানায় পুলিশ।
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে হৃদয় হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহে সড়কে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রসহ ৩ জনের
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৪ জন। বুধবার কালীগঞ্জের সাহাপুর ও মহেশপুরের বজ্রাপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জের সাহাপুর নামক স্থানে মাইক্রোবাসের চাপায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র রনি আহম্মেদ নিহত হয়। সে স্থানীয় দাদপুর গ্রামের বাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে এবং ঘিঘাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। অপর ঘটনা ঘটে মহেশপুরের বজ্রাপুর নামক স্থানে। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মোর্শেদ হোসেন খান জানান, বেলা ১১টার দিকে কোটচাঁদপুর থেকে যাত্রীবোঝাই একটি আলম সাধু খালিশপুর যাওয়ার পথে বজ্রাপুর নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বৈদ্যুতিক খাম্বাবোঝাই লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।  এ সময় ঘটনাস্থলেই আলম সাধুর যাত্রী কামাল হোসেন নিহত হন। আহত হয় অন্তত ৫ জন। এদের মধ্যে যশোর ২৫০ বেডের হাসপাতালে নেয়ার পথে খলিলুর রহমান নামে আরও এক আলমসাধু যাত্রী দুপুর ১টার দিকে মারা যান। আহতদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশংকাজনক। বৈদ্যুতিক খাম্বাবোঝাই লরিটি আটক করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৪ জন। বুধবার কালীগঞ্জের সাহাপুর ও মহেশপুরের বজ্রাপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ দিন পর খাদে পড়া ট্রাকের নিচে মিলল হেল্পারের লাশ
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যাওয়া একটি ট্রাকের নিচ থেকে ২ দিন পর হেল্পারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রাংগাল নামক স্থানে খাদ থেকে আলু বোঝাই ট্রাকটি উত্তোলন করার পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়।  নিহত হেল্পারের নাম স্বাধীন মিয়া (২৫)। তিনি পাবনার সুজানগর উপজেলার বানিয়াপুর-কাশিনাথপুর গ্রামের এরশাদ মিয়ার ছেলে। নগরকান্দা থানার এসআই অসীম মণ্ডল জানান, আলুবোঝাই ট্রাকটি (কুষ্টিয়া-ট-১১-১০১৭) রাজশাহী থেকে ভোলা যাওয়ার সময় সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রাংগাল নামক স্থানে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। বুধবার ট্রাক ও আলু উত্তোলন করার সময় এর নিচ থেকে হেল্পার স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যাওয়া একটি ট্রাকের নিচ থেকে ২ দিন পর হেল্পারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রাজশাহী থেকে ডুয়েলগেজ রেলপথে সারা দেশে যোগাযোগ স্থাপনের দাবি
রাজশাহী থেকে ডুয়েলগেজ রেলপথে সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও রেলযাত্রী সেবার মান উন্নয়নের দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।   এ দাবিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। পরে রেলওয়ের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।  স্মারকলিপির অনুলিপি রেলপথ মন্ত্রী, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সংশ্লিষ্ট দফতরেও পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাজশাহীতে পশ্চিম রেলের সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ রেলপথ সম্প্রসারণ ও রেলযাত্রীদের সেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এ সময় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ ছাড়াও রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তার মাধ্যমেই মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি তুলে দেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবুসহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ। পরে রেলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ, মো. মাসউদুর রহমান, সিএসটিই সুশীল কুমার হালদার, সিসিএম মো. আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. আবদুল মান্নান, বিএফউইজের সহ-সভাপতি মামুন-অর-রশিদ, আইনজীবী তৌফিক আহমেদ টিটু প্রমুখ।
রাজশাহী থেকে ডুয়েলগেজ রেলপথে সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও রেলযাত্রী সেবার মান উন্নয়নের দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।
কালীগঞ্জে পিকআপচাপায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় পিকআপচাপায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। নিহতের নাম রনি হোসেন (১০)। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শাহপুর ঘিঘাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত রনি হোসেন ধলাই গ্রামের বাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে ও দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, আন্তঃইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শাহপুর-ঘিঘাটি এলাকার একটি মাঠে খেলা করতে আসে রনি। এ সময় রাস্তা পারাপারের সময় একটি পিকআপ তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ঘাতক পিকআপটি আটক করা সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় পিকআপচাপায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। নিহতের নাম রনি হোসেন (১০)।
শিবগঞ্জে কলাগাছের সঙ্গে শত্রুতার সংবাদে দুঃখ প্রকাশ
‘শিবগঞ্জে কলাগাছের সঙ্গে শত্রুতা’ শিরোনামে গত মঙ্গলবার যুগান্তর অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের  জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর এলাকার কলাবাগান মালিক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমাকে ওই এলাকার কতিপয় ব্যক্তি ভুল তথ্য দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই আমি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে অবহিত হয়ে জানতে পারি যে, শত্রুতাবশত নয়; প্রকৃতপক্ষে কলাগাছ থেকে প্রায় দুই মাস আগে কিছু কলার কাঁদি কেটেছিলাম।  গত সোমবার ওই এলাকার কয়েকজন লোক আমাকে ভুল তথ্য দিলে আমি স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করি।  এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন সাংবাদিক আমার লিখিত অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে একটি সংবাদ পরিবেশন করে। ওই সাংবাদিকদের কলাবাগানের আশপাশের লোকেরাও সঠিক তথ্য না দেয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। আমার দেয়া ভুল তথ্যে প্রকাশিত সংবাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দা, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
‘শিবগঞ্জে কলাগাছের সঙ্গে শত্রুতা’ শিরোনামে গত মঙ্গলবার যুগান্তর অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর এলাকার কলাবাগান মালিক মিজানুর রহমান।
এক রাতে ৭ সরকারি অফিসে চুরি
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় একই রাতে সরকারি সাত অফিসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।  মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। তবে রাতে নাইটগার্ড থাকার পরও কেন চুরির ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার নিজ নিজ অফিসে কাজ শেষ করে অফিস বন্ধ করে কর্মকর্তারা বাসায় চলে যান। রাতের কোনো একসময় চোরেরা উপজেলা চত্বরে অবস্থিত উপজেলা ভূমি অফিসের গ্রিল, হিসাবরক্ষণ অফিসের কেচি গেটের তালা, মৎস্য অফিসের দরজার হেজবোল্ট কেটে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পূর্ব পাশের জানালার গ্রিল কেটে, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের দরজার তিনটি হেজবোল্ট কেটে এবং আনসার ও ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের দরজার কড়া ভেঙে কাগজপত্র তছনছ ও চুরির ঘটনা ঘটে।  উপজেলা ভূমি অফিসের আলমিরা ভেঙে ১০ হাজার ৫০০ টাকা ও মৎস্য অফিসের ফাইল কেবিনেট ভেঙে ৩৫ হাজার টাকা চুরি হয়। সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে এসে চুরি হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গণপতি রায় বলেন, এত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটায় দুঃখজনক মনে হচ্ছে। যেখানে পুলিশ নিয়মিত টহল দেন এবং সবসময় নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। তার পরও চুরির ঘটনা ঘটেছে।  নাইটগার্ডদেরও তাদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে বলে মনে করছি। হয়তো তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে ঘুমিয়ে পড়েছিল। থানায় এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে সরবরাহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা ভিডিওটি দেখেছেন। বিষয়টি বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আটক করবেন।  এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারাও যদি সম্পৃক্ত থাকেন তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। ধামইরহাট থানার ওসি শামিম হাসান সরদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এর পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় একই রাতে সরকারি সাত অফিসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- আবুল হাশিম (৩০) ও মো. আইয়ুব (২৪)। বুধবার ভোরে উপজেলার শামলাপুরের বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  র‌্যাবের দাবি, নিহত রোহিঙ্গারা মাদককারবারি। নিহতরা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের হোছাইন শরীফের ছেলে হেড মাঝি আবুল হাশিম এবং শামসুল আলমের ছেলে মো. আইয়ুব। র‌্যাব-১৫ (সিপিসি-১)-এর টেকনাফ ক্যাম্পের কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম বলেন, গোপন খবর পেয়ে বুধবার ভোরে র‌্যাবের একটি দল উপজেলার শামলাপুরের বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় মাদককারবারিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।  র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও মাদকসহ গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করা হয়।  পরে তাদের টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এর পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন তারা মারা যান। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি ওয়ান শুটার গান, পাঁচ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ছয় রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- আবুল হাশিম (৩০) ও মো. আইয়ুব (২৪)।
পূবাইলে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াল বিএনপি
কনকনে শীতে জবুথুবু জনজীবন। শৈত্যপ্রবাহে চরম কষ্টে দিনানিপাত করছেন বহু মানুষ। পূবাইলে অসহায় দু:স্থ এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুক হক মিলনের নির্দেশনায় পূবাইল থানা বিএনপি বুধবার সকালে তালটিয়া সাতপোয়া এলাকায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ায়। এ সময় শীতার্তদের মাঝে  পাঁচ শতাধিক কম্বল বিতরণ করেন তারা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও পূবাইল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান বিকির পরিচালনায় ও থানা বিএনপির আহ্বায়ক মনির হোসেন বকুলের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন পূবাইল থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশীদ, আমির হোসেন, যুবদলের আহবায়ক মজিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন, সোহেল খান, বিএনপি নেতা মোবারক হোসেন খান, সোলেমান মুন্সি, ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।  এ সময় নজরুল ইসলাম খান বিকি বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করা যাবে না।আমরা অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে আমাদের মা আমার নেত্রীর মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
কনকনে শীতে জবুথুবু জনজীবন। শৈত্যপ্রবাহে চরম কষ্টে দিনানিপাত করছেন বহু মানুষ। পূবাইলে অসহায় দু:স্থ এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।
মাদ্রাসায় হামলার বিচার চাই, নইলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে: বাবুনগরী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কান্দিরপাড় এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খতমে নবুওয়াত মাদ্রাসা দখলের উদ্দেশ্যে নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।  তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার যথাযথ বিচার না হলে পুরো দেশজুড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সরকারকে এর দায়ভার বহন করতে হবে। বুধবার দুপুরে ঘটনাপরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দখলের উদ্দেশ্যে খতমে নবুওয়াত মাদ্রাসায় কাদিয়ানিদের হামলার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের রক্তাক্ত করে চরম দৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখানো হয়েছে। বাবুনগরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত নিয়ে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলনে কখনও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ভাঙচুর হয়নি। তিনি আরও বলেন, কাফের কাদিয়ানিরা বিনা উসকানিতে কওমি মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্র ও আলেমদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে গুটিকয়েক কাদিয়ানি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে কোটি কোটি তৌহিদি জনতার কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কান্দিরপাড় এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খতমে নবুওয়াত মাদ্রাসা দখলের উদ্দেশ্যে নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
ফরিদপুরে গ্রেফতারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম এনায়েত মোল্যা। পুলিশের দাবি, নিহত এনায়েত মোল্যা ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ১৩ মামলা রয়েছে। এনায়েত বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মজিবর মোল্যার ছেলে।  বোয়ালমারী থানা পুলিশ জানায়, ডাকাত এনায়েত মোল্যাকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার হাট ফাজিলপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।  পরে এনায়েতের তথ্যমতে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে শেখর ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের প্রিয়নাথ পালের মেহগনি বাগানের অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ।  এ সময় সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা এনায়েতের দলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় এনায়েত দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়।  পরে এনায়েতকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  এ ঘটনায় ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শুটারগান, শটগানের চারটি কার্তুজ, একটি চাপাতি ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।  নিহত এনায়েতের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী ও পার্শ্ববর্তী থানায় ডাকাতিসহ ১৩ মামলা রয়েছে।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম এনায়েত মোল্যা।
সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেতা শাহজাদা গ্রেফতার
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পৌরসভার তুলশিডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কলারোয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব হোসেন জানান, কাজী শাহজাদার বিরুদ্ধে তিনটি সিআর ও একটি জিআর মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।  গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  অভিযানকালে শাহজাদার বাড়ি থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪টি কাগজপত্রবিহীন মোটরসাইকেল, কিছু নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই উদ্ধার করা হয়েছে। কলারোয়া থানার ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, যুবলীগ নেতা ও কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদার বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্ট ছাড়াও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ মালপত্রের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দিনদুপুরে ২ বান্ধবীকে তুলে নিয়ে নিপীড়ন
মৌলভীবাজার পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় দিনদুপুরে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রীসহ দুই বান্ধবী।  মঙ্গলবার দুপুরে জেলা স্টেডিয়ামের পেছনের পাহাড়ি এলাকার নির্জন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে।  জানা যায়, দুপুরে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই বান্ধবী প্রেসক্লাবের সামনে এসে একটি অটোরিকশায় ওঠে। এর পরই চার যুবক ওই অটোরিকশায় জোর করে ওঠে পর্দা টেনে দুই বান্ধবীর হাত বেঁধে ফেলে।  পরে তাদের মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামের পেছনের পাহাড়ি  এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই চারজন। ঘটনাস্থল থেকে তারা কৌশলে বেরিয়ে পুলিশে খবর দেন। এর পর তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে পুলিশ আত্মীয়স্বজনকে খবর দিয়ে দুই বান্ধবীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, কলেজছাত্রী বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত আকাশ ও মুন্না নামে দুজনকে আটক করেছে।
মৌলভীবাজার পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় দিনদুপুরে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রীসহ দুই বান্ধবী।
পূবাইলে সেনাবাহিনীর সপ্তাহব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পেইন
গাজীপুর মহানগরীর ৪১ নং ওয়ার্ডে পূবাইলের কলেজগেইট এলাকায় সপ্তাহব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী।  শীতকালীন মহড়া উপলক্ষে ৫০ শয্যার বিনামূল্যে চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা করেন ৯ম পদাতিক ডিভিশন সাভার সেনানিবাসের অধীনে ১১ ফিল্ড অ্যাম্বুল্যান্সের জওয়ানেরা। পূবাইল সরকারি প্রাথমিক ও ভাদুন উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক দুটি সেমিনারসহ ৮ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ, মা ও শিশু, গাইনী, নাক কান গলা,চক্ষু, মেডিসিনসহ সব বিভাগের চিকিৎসা দেয়া হয় গত ৭ দিনে।পাশাপাশি ৪০টি ছোট বড় অপারেশন, তিনশ’ জনকে চশমাও দেয়া হয়। এই ক্যাম্পেইন শেষ হয় মঙ্গলবার। সেনাবাহিনীর ৯ম পদাতিক বাহিনী সাভার ও ১১ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্ণেল মো. ফকরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও চিকিৎসা পরিদফতরের সহকারী পরিচালক রেজাউর রহমানের দিক নির্দেশনায় এই ক্যাম্পেইনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোমেন মিয়া সহযোগিতা করেন।
গাজীপুর মহানগরীর ৪১ নং ওয়ার্ডে পূবাইলের কলেজগেইট এলাকায় সপ্তাহব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী।
শিবগঞ্জে ভাই হত্যায় ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সৎভাই জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় ছোট ভাই কেতাব আলীকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শওকত আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কেতাব আলী শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের হাউসনগর গ্রামের মো. বিশারত আলীর ছেলে।  অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী আঞ্জুমান আরা জানান, কেতাব আলীর সঙ্গে তার সৎভাই জাহাঙ্গীর আলমের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।  এরই জের ধরে ২০১৮ সালের ৪ মে রাতে ডিম বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বাড়ি ফেরার পথে মনাকষা ইউনিয়নের হাউসনগর গ্রামে কেতাব আলী হাঁসুয়া দিয়ে জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অসিম আলী বাদী হয়ে ওই দিনই শিবগঞ্জ থানায় কেতাব আলীকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করে।  পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহতাব আলী ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণাদি শেষে বিচারক উপরোক্ত রায়ে দণ্ডিত করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সৎভাই জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় ছোট ভাই কেতাব আলীকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্কুলের পাশে সাবেক ইউপি সদস্যের গোয়ালঘর!
স্কুলের পাশে সাবেক এক ইউপি সদস্য গড়ে তুলেছেন গরুর গোয়ালঘর! স্কুলে যাওয়ার কাঁচারাস্তার ওপর বেঁধে রাখা হয় গরু।  ইউপি সদস্যের অন্য দুই ভাই ভবনের পেছনে দেয়াল ঘেঁষে করেছেন রান্নাঘর। রান্না করার সময় চুলার ধোঁয়া শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। তাদেরও রয়েছে বেশ কয়েকটি গরু। স্কুলজুড়ে গোবর ও গো-মূত্রের দুর্গন্ধ।  পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১৩০ নম্বর ছাইকোলা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ এটি।  স্কুল কর্তৃপক্ষ গরুর গোয়াল ও রান্নাঘর সরিয়ে নিতে ওই ইউপি সদস্যকে বললেও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে উল্টো প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং মারধর করতেও আসেন তারা বলে অভিযোগে জানা যায়।  এর আগে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বারবার বলার পরও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। এতে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। এ কারণে দিনে দিনে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে যাচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সামনে ও পেছনের অংশজুড়ে ছাইকোলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আলীম, তার দুই ভাই আতাউর ও আলীমের বসতঘর। স্কুলে প্রবেশ মুখের কাঁচারাস্তার পাশে আবদুল আলীম তৈরি করেছেন গোয়ালঘর। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাঁধা থাকে গরু।  আর বিদ্যালয় ভবনের পেছনে দেয়াল ঘেঁষে তার দুই ভাই আতাউর ও তালেব হোসেন তৈরি করেছেন রান্নাঘর। ভবনের পেছনে বেঁধে রাখা হয় তাদেরও বেশ কয়েকটি গরু।  ক্লাস চলাকালীন হাওয়া প্রবেশের জন্য জানালা খুললেই গোবর ও গো-মূত্রের উৎকট গন্ধে ভরে ওঠে। আর চুলার ধোঁয়ায় ভরে ওঠে শ্রেণিকক্ষ। যে কারণে স্কুল চলাকালীন শ্রেণিকক্ষের জানালা বন্ধ রাখতে হয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টে ভোগে এবং আলোর স্বল্পতার কারণে পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।  মাঝেমধ্যেই অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর রাস্তা বন্ধ করে তাদের দেখাদেখি স্কুলের চারপাশে অন্যরাও রোদে শুকাতে দিয়েছেন গোবরের শলা।  স্কুলটির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতি খাতুন, হুমায়রা খাতুন ও মান্না হোসেন যুগান্তরকে বলে, গোবর, গো-মূত্র এবং রান্নাঘরের চুলার ধোঁয়ার কারণে শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়। যে কারণে মাঝেমধ্যে স্কুলে অনুপস্থিত থাকতে হয় বলে জানায় তারা।  শহীদুল ইসলাম ও সবুজ্জ্বল হোসেন নামে দুই অভিভাবক যুগান্তরকে বলেন, স্কুলের পাশে গরু বেঁধে রাখা এবং রান্নাঘর সরানোর জন্য এর আগে বহুবার ওই মেম্বারকে বলা হয়েছে কিন্তু তারা কোনো কিছুই কানে নিচ্ছেন না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদা পারভীন যুগান্তরকে বলেন, এমনিতেই স্কুলটি শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। তার পর আবদুল আলীম ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা নানাভাবে অত্যাচার করে। এ ছাড়া স্কুলের বেশ কিছু জায়গা তাদের দখলে রয়েছে। সমস্যার কথা বলতে গেলে উল্টো তারা নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়।  বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানান তিনি। অভিযোগে ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আলীমের কাছে জানতে গেলে উল্টো তিনি এই প্রতিবেদককে প্রশ্ন করে বলেন, আপনাকে কে খবর দিয়ে নিয়ে এসেছে? আমরা কী গরু-ছাগল লালন-পালন করব না? আর আশপাশের সবাই গরুর গোবর শুকাতে দেয়, শুধু আমার বেলায় স্কুলের লোকজন এমন করে কেন?  আমরা কী তা হলে এখান থেকে বাড়িঘর তুলে নিয়ে যাব?  ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। জেনে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার মোহাম্মদ রায়হান যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি অমানবিক। এ ব্যাপারে জেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এদিকে ওই ইউপি সদস্য রাস্তার পাশের একটি বড়ইগাছের কয়েকটি ডালকে রক্ষা করতে রীতিমতো যুদ্ধংদেহী অবস্থা!  পাশেই তাদেরও গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। শুধু ইউপি সদস্যেই নয়, আশপাশের অনেকেই স্কুলের রাস্তা বন্ধ করে শুকাতে দেন গোবরের শলাকা। চারদিকে শুধু গরুর গোবর ও গো-মূত্রের দুর্গন্ধ। জানালা খুললেই শ্রেণিকক্ষ চুলার আগুনের ধোঁয়ায় ভরে উঠছে। শিক্ষার্থীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।  বিদ্যালয়ের এমন পরিবেশের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
স্কুলের পাশে সাবেক এক ইউপি সদস্য গড়ে তুলেছেন গরুর গোয়ালঘর! স্কুলে যাওয়ার কাঁচারাস্তার ওপর বেঁধে রাখা হয় গরু।
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম নাসরিন আক্তার (৩৪)। বুধবার ভোরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত নাসরিন একই গ্রামের প্রবাসী ফারুক হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।  নাসরিনের স্বামী ফারুক ও ছেলে নাইমুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা তিনজন একই বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন। ফজরের আজানের পর নাসরিন ঘুম থেকে উঠে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। এ সময় কে বা কারা তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। চিৎকার শুনে তারা ঘর থেকে বের হলে এক ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে দেখেন।  তবে চেহারা দেখা যায়নি। পরে নাসরিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কী দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।  চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জসিমউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়েছি। তবে কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
লক্ষ্মীপুরে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম নাসরিন আক্তার (৩৪)।
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ। আদালত সেই প্রার্থনা মঞ্জুর করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ও ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন।  আদালত সূত্র জানায়, পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজকে পাবনার ঈশ্বরদীর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক এসএম শরীয়তউল্লাহ আদালত অবমাননার জন্য গত ১ ডিসেম্বর আদালতে তলব করেন।  চলতি বছরের ১২ জানুয়ারির মধ্যে তাকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত থেকে আগে প্রেরিত চিঠির জবাব দিতেও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাবনার জেলা প্রশাসক ধার্য তারিখের পূর্বেই আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতসূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত থেকে গত বছরের ২৪ নভেম্বর একটি মামলায় দখল প্রদানের কাজে সহযোগিতার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের খরচ বাবদ কত টাকা এবং কোন হিসাবে জমা দিতে হবে; তা জানতে আদালত থেকে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়। পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ নেওয়াজ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আদালতে পাঠানো হয়। যেখানে আদালত থেকে যে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়; তার জবাব না দিয়ে আদালতের চিঠির ভাষাগত ভুল উল্লেখ করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতকে বলা হয়।  এমনকি আদালতের চিঠিকে সাধারণ দাফতরিক ভদ্রতা ও শিষ্টাচার বিবর্জিত এবং ভদ্রোচিত নয় বলে উল্লেখ করা হয়।  অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এমন আচরণে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আদালতের বিরুদ্ধে একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মচারীর এমন ভাষা ব্যবহারকে আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য করেন। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিজ্ঞাসিত বিষয়ের জবাব না দেয়ায় মোকদ্দমা নিষ্পত্তি দেরি ও পক্ষদের ভোগান্তি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।  জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে পাঠানো চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আদালত পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন।  পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত ওই প্রার্থনা মঞ্জুর করেন এবং তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন।
আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ। আদালত সেই প্রার্থনা মঞ্জুর করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ও ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন।
রংপুরে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে ভাইবোনসহ নিহত ৩
রংপুরের তারাগঞ্জে উপজেলায় বেপরোয়াগতির ডিপজল পরিবহনের বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাইবোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।  বুধবার সকাল ৮টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ উপজেলার বাছুরবান্ধা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের গিলাবাড়ী এলাকার সাথী আক্তার (২২), তার ভাই বিপ্লব মিয়া (২৬) ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার অ্যাম্বুলেন্সচালক রুবেল মিয়া (২৭)।  এতে আহতদের মধ্যে নিহত সাথী আক্তারের স্বামী ও তার দুই মাসের শিশুসন্তানকে গুরুতর আহতাবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী ছিলেন।  তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ডিপজল এন্টারপ্রাইজের বাসটি ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিল।  ওপর দিকে চিকিৎসা নিতে ভোরে ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে আসা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগামী অ্যাম্বুলেন্সটির সঙ্গে উপজেলার বাছুরবান্ধা এলাকায় ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাথী ও তার ভাই বিপ্লব মিয়া নিহত হন।  অন্যদিকে রংপুর কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সচালক রুবেল মিয়া চিকিৎসাধীন সকাল ৯টায় মারা যান।  বাসটি বেপরোয়াগতিতে চালানোর কারণে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি আটক করা হলেও চালক ও তার সহযোগীকে (হেলপার) আটক করা সম্ভব হয়নি।
রংপুরের তারাগঞ্জে উপজেলায় বেপরোয়াগতির ডিপজল পরিবহনের বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাইবোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
ঘন কুয়াশায় মাঝ পদ্মায় ৬ ফেরি আটকা
ঘন কুয়াশার কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে মাঝ পদ্মায় ছয়টি ফেরি আটকা পড়েছে।  বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।  এতে মাঝ পদ্মায় ছয়টি ফেরি আটকা পড়েছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল ফের শুরু হবে বলে জানান ওই ঘাট কর্মকর্তা।
ঘন কুয়াশার কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘন কুয়াশা: দৌলতদিয়ায় শত শত গাড়ি আটকা
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। এতে তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীসাধারণ ও চালকরা। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার ভোর ৬টার দিকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আবদুল্লাহ রনি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। এতে তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীসাধারণ ও চালকরা।
শিশু তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত তার চাচা
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাদ্রাসাছাত্র শিশু তোফাজ্জল (৭) অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন সন্দেভাজন আসামি সারোয়ার হাবিব রাসেল (২১)।   সম্পর্কে আসামি রাসেল তোফাজ্জলের বাবার আপন ফুফাত ভাই অর্থাৎ নিহতের চাচা। রাসেলের বাড়ি উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামে।  তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান হবি। মঙ্গলবার বেলা ১টা হতে ৫টা পর্যন্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক শুভদ্বীপ পাল পুলিশি রিমান্ডে থাকা সারোয়ার হাবিব রাসেলের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আদালত সুত্র জানায়, গত ৮ জানুয়ারী বুধবার বিকেলে উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের জুবায়ের হোসেনের ছেলে তোফাজ্জলকে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে অন্যান্যদের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা থাকার দায় স্বীকার করে রাসেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।   নিজ বসতঘরের শয়ন কক্ষ হতে আলামত হিসাবে জব্দকৃত বক্সখাটের ড্রয়ারের রাখা রক্তমাখা ভেঁজা লুঙ্গি, সোফার ওপর রাখা বালিশের দুটি রক্তমাখা ভেঁজা তোয়ালো ,বক্সখাটের বিছানার নিচে রাখা ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে লেখা চিরকুটের খাতার অবশিষ্ট অংশ নিজের বলে আদালতে স্বীকার করেন। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম যুগান্তরকে বলেন, এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রাসেল ছাড়াও আরো কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা বলার সময় এখানো হয়নি। তদন্ত শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে কি কারণে শিশু তোফাজ্জলকে অপরহণসহ হত্যা করা হলো সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।   প্রসঙ্গত গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামের জুবায়েরের ছেলে মাদ্রাসাছাত্র তোফাজ্জল হোসেন নিজ গ্রাম হতে নিখোঁজ হন। পরদিন বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ হতে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়। এরপর শনিবার ভোররাতে উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে সিমেন্টের বস্তায় বন্দি অবস্থায় শিশু তোফাজ্জলের লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। শিশু তোফাজ্জলের এক চোখ উপড়ে ফেলে ও এক পা ভেঙ্গে তাকে নৃশংসভাবে হত্যার করে তার মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে রেখে যায় ঘাতকরা। লাশের পাশে রাখা অপর একটি সিমেস্টেরর বস্তায় বাঁধা ৬টি ইট জব্দ করে থানা পুলিশ। পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে হত্যার পর অপর সিমেন্টের বস্তা ভর্তি ইটগুলো মরদেহের সঙ্গে বেঁধে গ্রামের সামনে থাকা সংসার হাওরের গভীর পানিতে ফেলে দিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেছিল ঘাতকরা। কিন্তু সীমান্তে বিজিবির টহল থাকায় ও ভোরের আলো ফুঁটে ওঠার কারণে জনচলাচলের মুখে লাশ গুমের চেষ্টা ব্যর্থ হয় ঘাতকদের। পরে বস্তাবন্দি তোফাজ্জলের লাশ প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে ফেলে রেখে চলে যায় ঘাতকরা। এ লোমহর্ষক ঘটনায় সোমবার রাতে থানা পুলিশ জেলা কারাগারে সন্দেভাজন আসামি হিসাবে আটক থাকা নিহত তোফাজ্জলের ফুফু শিউলি, শিউলির ফুফাত ভাই রাসেলেকে পাঁচ দিন এবং চাচা লোকমান হোসেন, সালমান হোসেন, শিউলির ফুফা হাবিবুর রহমান হবি, শশুড় কালা মিয়া, জামাই সেজাউল কবিরসহ পাঁচ আসামিকে তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে আসে। শিউলিকে সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা হেফাজতে ও শিউলির ফুফাত ভাই সারোয়ার হাবিব রাসেলকে তাহিরপুর থানা হেফাজতে রেখে রিমান্ডে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিহত পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, অপহরণের পর চিরকুট লিখে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়। নিহত তোফাজ্জল প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাদ্রাসাছাত্র শিশু তোফাজ্জল (৭) অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন সন্দেভাজন আসামি সারোয়ার হাবিব রাসেল (২১)।
সিলেটে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হলেন মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ
সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান সংক্রান্ত বিভাগীয় বাছাই কমিটির সভার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসককে শ্রেষ্ঠ বলে নির্বাচিত করা হয়। গত ৯ জানুয়ারি সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক একেএম শাফায়েত আলম স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এই তথ্য জানানো হয়। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা হয়েছেন পৌর শহরের মল্লিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছা. রোকসানা ইয়াসমিন, শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর হয়েছেন ধর্মপাশা উপজেলার চন্দন কুমার বনিক এবং শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা।
সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
মেলায় উঠল ৪৫ কেজি ওজনের কাতলা! দাম কত জানেন?
প্রতি বছরের মতো এবারও পৌষ মাসের শেষ দিনে মৌলভীবাজারের শেরপুরে বসেছে ঐতিহ্যবাহী দেশি মাছের মেলা। বরাবরের মতো এবারও মেলাতে ব্যবসায়ীরা নিয়ে এসেছেন নদী ও চাষের বোয়াল, আইড়, বাঘাইড়, চিতল, রুই, কাতলাসহ ছোট-বড় নানা আকারের মাছ। আর এবার মেলাতে উঠল ৪৫ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ! এর দাম হাঁকানো হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। মঙ্গলবার মেলায় ৪৫ কেজি ওজনের কাতলাটি নিয়ে আসেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বরুণা এলাকার মৎস ব্যবসায়ী আবুল হাসান। এ মাছটি মেলার সবচেয়ে বড় মাছ বলে দাবি করেছেন অনেকে। এতো দামী কাতলা মাছ দেখতে মেলায় ভিড় জমে যায়। কেউ কেউ সেলফিও তোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। আবুল হাসান বলেন, গত ১১ জানুয়ারি কুশিয়ারা নদীতে তার জালে এ মাছটি ধরা পড়ে। মেলায় সবাইকে চমক দেখানোর উদ্দেশ্যে বরফ দিয়ে রেখেছিলাম।  এবার আমার এই কাতলাই মেলার সবচেয়ে বড় মাছ। তিনি জানান, এবারের মেলায় ৮ লাখ টাকার মাছ নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত ২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। কাতলাটির দাম ৮০ হাজার টাকা ধরেছি। প্রসঙ্গত পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জের মিলনস্থল মৌলভীবাজারের শেরপুর কুশিয়ারা নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী মৎস মেলা বসে। এ মেলায় সিলেট বিভাগের হাইল হাওর, কাউয়াদীঘি হাওর, বড় হাওর, হাকালুকি, টাঙ্গুয়া, কুশিয়ারা নদী, সুরমা ও মনু নদীসহ সিলেট অঞ্চলের প্রাকৃতিক জলাশয়ের মাছ নিয়ে আসেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সোমবার শুরু হয়ে বুধবার ভোরে এ মেলা শেষ হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও পৌষ মাসের শেষ দিনে মৌলভীবাজারের শেরপুরে বসেছে ঐতিহ্যবাহী দেশি মাছের মেলা।
আবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় হোম অফিস থেকে অর্ধশতাধিক গ্রেফতার
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রিটোরিয়া হোম অফিসে সম্প্রতি রিফুজি আইনের পরিবর্তনের পর নড়েচড়ে বসেছে হোম অ্যাফেয়ার্স। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াস্থ জেসমন্ড টুটু রিফুজি সেন্টারে অর্ধশতাধিক বাংলাদেশিসহ শতাধিক অভিবাসীকে গ্রেফতার করে। এরই ধারাবাহিকতায় (১৪ জানুয়ারি)মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৭০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের এসাইলাম ও রিফুজি পারমিটে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখিয়ে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এদের মধ্যে অধিকাংশের এস্কারা, আপিল রিভিউ, আরএসডিও রিভিউ ইত্যাদি সমস্যা দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃতদের ম্যান্ডলা জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রদর্শনের মাধ্যমে এদের অনেকেই মুক্ত হতে পারবেন। ইতিমধ্যে অনেকেই ইমিগ্রেশন লইয়ারের শরণাপন্ন হয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করতঃ আইনজীবীরা এদেরকে মুক্ত করতে পারবেন। বাকীদের হয়তো লিভ দ্যা কান্ট্রি সীল দিয়ে দেশে ফেরত যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। সাম্প্রতিক পাশ হওয়া রিফুজি এমেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন রিফুজি অ্যাক্টিভিস্ট সংগঠনগুলো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এছাড়াও হিউম্যান রাইটস আইনজীবীসহ আফ্রিকান ডায়াসপোরা ফোরাম মুখপাত্র হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টারের সঙ্গে টকশোতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় মন্ত্রী সাম্প্রতিক পাশ হওয়া আইনে বিধিমালা নিয়ে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মুক্ত আলোচনার আশ্বাস দেন। মন্ত্রী আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। এদিকে, আফ্রিকা ডায়াসপোরা ফোরাম নতুন আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করার প্রস্তুতি নিলেও মন্ত্রীর আশ্বাসের পর আপাতত রিট করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রিটোরিয়া হোম অফিসে সম্প্রতি রিফুজি আইনের পরিবর্তনের পর নড়েচড়ে বসেছে হোম অ্যাফেয়ার্স।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে স্পেন যুবলীগের আলোচনাসভা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা করেছে আওয়ামী যুবলীগ স্পেন শাখা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী মাদ্রিদের মেহমান খানা রেস্টুরেন্টে এ আলোচনাসভায় স্পেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনসহ একাধিক অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে যোগ দেন।  আশপাশের কয়েকটি রাজ্য থেকেও বেশ কয়েকজন নেতা আলোচনায় অংশ নেন। স্পেন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. ইফতেখার আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্পেন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. জাকির হোসেন। যুবলীগ নেতা ওলিউর রহমানের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন,বাংলাদেশ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাবেক সভাপতি প্রবীণ কমিউনিটি নেতা মো. আব্দুল মালেক, স্পেন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ঢালী, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ ইসলাম,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন স্পেনের সভাপতি সাংবাদিক এ কে এম জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আহমদ আসাদুর রহমান সাদ, স্পেন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আফসার হোসেন নীলু, স্পেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, স্পেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিক খান, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. জসিম উদ্দিন মাস্টার, আওয়ামী লীগ নেতা মো. রুহুল আমীন রুবেল,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন স্পেনের প্রচার সম্পাদক মো. আবুল কালাম, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী তোয়াবুর রহমান, আনোয়ারুল কবির পরান, এম আই আমীন, মো. সাইফুর রহমান আমীন, যুবলীগ নেতা শিপন আহমদ রাহি, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুন নূর নীরব,রাজীব আহমদ, শফিকুন নূর, সুব্রত রয় শুভ, শাহিন মিয়া, সাদেক আহমদ, শাওন প্রমুখ।  বক্তারা বলেন, দীর্ঘ নয় মাস কারাবরণ করে বঙ্গবন্ধু এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ১০ জানুয়ারি পা রাখেন। ঐদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আজ আমার জন্ম স্বার্থক হয়েছে কারণ আমার সারা জীবনের স্বপ্ন স্বাধীন বাংলা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। তিনি যদি সেদিন ফিরে না আসতেন তাহলে বাংলার মানুষের কাছে স্বাধীনতা শব্দটির অর্থ ম্লান হয়ে যেত। আমরা আজ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি। বক্তারা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনাসভা শেষে বিশেষ দোয়া ও নৈশভোজের মাধ্যমে সভা ও দোয়া মাহফিলের সমাপ্তি হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা করেছে আওয়ামী যুবলীগ স্পেন শাখা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী মাদ্রিদের মেহমান খানা রেস্টুরেন্টে এ আলোচনাসভায় স্পেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনসহ একাধিক অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে যোগ দেন।
মালয়েশিয়ায় বকেয়া বেতন পেলেন ১১৩৭ বাংলাদেশি
মালয়েশিয়ার ডাব্লিউ আর পি কোম্পানির কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে কোম্পানির বকেয়া বেতন পেলেন কর্মরত ১১৩৭ জন বাংলাদেশি।   সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার বৃহত্তর এই কোম্পানিকে দেশটির হাইকোর্ট দেউলিয়া ঘোষণা করে লিকুইডিটর নিয়োগ করে।   ইতোমধ্যে টায়েল পার্টনার্স নামক একটি কোম্পানি ২২ মিলিয়ন রিংগিত বিনিয়োগ করে ডাব্লিউ আরপি গ্রুপের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কোম্পানিটিতে নতুন প্রধান নির্বাহী নিয়োগ দিয়েছে। কোম্পানির পক্ষে নিযুক্ত আইন সংস্থা থমাস ফিলিপ জানিয়েছেন দ্রুতই উৎপাদন শুরু করতে পারবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কাটানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সকল সমস্যার সমাধান হবে। ফলে কর্মীদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। গত বছরের শুরুতে ২ হাজার নেপালী কর্মী বকেয়া বেতনের দাবিতে স্ট্রাইক করলে বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্ট সরেজমিন তদন্ত করে সময়মত বেতন না দেয়া, বেতন আটকে রাখা, ওভার টাইম না দেয়া, অযৌক্তিকভাবে বেতন থেকে কর্তন, অন্যায়ভাবে সরকারি ছুটির দিনে বা বন্ধের সময় কাজ করিয়ে নেয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখতে পায়। তখন কোম্পানি কর্মীদের বকেয়া বেতন দেয় এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়।   মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মানবাধিকার, শ্রম ও অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ডিপার্টমেন্টকে সমস্যা সম্পর্কে জানালে আমেরিকার বর্ডার অ্যান্ড কাস্টমস কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ কোম্পানির উৎপাদিত গ্লোভ আমদানীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।   এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা লিকুইডেটরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।   বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশিসহ সকল বিদেশী কর্মীদের কল্যাণকে গুরুত্ব দিয়ে আইনগতভাবে সহায়তা প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছে। হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘লিকুইডিটরের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় ও লেবার ডিপার্টমেন্ট, কোম্পানি এবং ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য মিশন নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’ আগামি সপ্তাহে মালয়েশিয়ার লেবার মিনিষ্ট্রির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আবারও আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। জানালেন এ কর্মকর্তা।  কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে নিযুক্ত আইনি সংস্থা থমাস ফিলিপ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাএল পার্টনার্স সকল দায়িত্ব নিয়েছে। আইনজীবী ম্যাথিউ থমাস ফিলিপ জানান, এ টি কোম্পানির জন্য একটি ভাল সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন বন্ধ কারখানা সচল করবে এবং কর্মী, পাওনাদার এবং অন্যান্য সংস্থার বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে পারবে। এরফলে চলমান অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে গেছে বলে মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার নিয়ে কাজ করা এনজিওরা মন্তব্য করেছেন। বর্তমান অবস্থায় কর্মীদের মেনে চলার জন্য প্রদত্ত গাইড লাইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের  লিখিত অনুমতি ব্যতীত প্রেস, টেলিভিশন বা রেডিওতে কথা বলার নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশি কর্মীরা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।   এদিকে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় সকল রপ্তানী পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নীরিক্ষা করে  ১ জানুয়ারী ২০২১ সালের মধ্যে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে না মন্ত্রণালয় আশা করে।   উল্লেখ্য, ডাব্লিউ আরপি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পাব্লিউ আরপি এশিয়া প্যাসিফিক এসডি এন বিএইচডি (WRPAP), , ডাব্লিউ আরপি রাবার প্রোডাক্ট এসডিএন বিএইচডি, ডাব্লিউ আরপি স্পেসিয়েলিটি এসডিএন বিএইচডি, এডভান্স হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট এসডিএন বিএইচডি (AHP) এবং অ্যাডভান্স মেডিকেল প্রোডাক্ট এসডিএন বিএইচডি (AMSP)  তে ১৯২৭ জন বিদেশী কর্মী আছে তন্মধ্যে ১১৩৭ জন বাংলাদেশি।
মালয়েশিয়ার ডাব্লিউ আর পি কোম্পানির কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে কোম্পানির বকেয়া বেতন পেলেন কর্মরত ১১৩৭ জন বাংলাদেশি।
‘আমরা লেখক দার লোক’ বলেই নারীর ওপর চড়াও হন ইডেন ছাত্রলীগের ৩ কর্মী
ইডেন কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক পথচারী নারী। এসময় কলেজ ছাত্রলীগের তিন কর্মী তাকে ‘হিজড়া’ বলে ডাক দেন। প্রতিবাদ করায় ওই নারীর ওপর চড়াও হন তারা। তাকে বেধরক মারধর করা হয়।  মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কলেজটির বিপরীতে ফুড কর্নারের সামনে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- সুষ্মিতা বাড়ৈ, সোনালী আক্তার ও জ্যোতি সাহা। আর হামলার শিকার ওই নারীর নাম আনিকা। মারধরের সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা দলীয় পরিচয় উল্লেখ করে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন আনিকা। দৈনিক যুগান্তরকে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে কী করা হয়েছে, কেউ না দেখলে তা বুঝতে পারবেন না। আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম, ওরা তিনজন আমাকে দেখে বলে দেখ ‘হিজড়া’ যাচ্ছে।  ‘তখন আমি প্রতিবাদ করি। এটাই ছিল আমার অপরাধ। ‘আমরা লেখক (ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য) দাদার লোক’ বলেই আমার ওপর তারা হামলা করে। আমাকে বেধরক মারধর করা হয়।’ এ ঘটনা উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন আনিকা।  তিনি লিখেছেন, ‘আমি আনিকা...ইডেন কলেজের সামনে কলোনি দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলাম। তখন একটা মেয়ে আমাকে ‘হিজড়া’ বলে ডাক দেয়, তখন আমি তার কাছে বললাম— আপনি আমাকে হিজড়া বললেন কেনো? তখন তার সঙ্গে থাকা মেয়েরাসহ আমার দিকে তেড়ে আসে, এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।’ আনিকা লিখেন, ‘আমি যখন বলি আপনারা এই রকম ব্যবহার কেন করছেন...তখন বলে আমরা ইডেন কলেজে পড়ি, ছাত্রলীগ করি, লেখক দার( সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) সঙ্গে রাজনীতি করি, এই বলে আমাকে গালাগালি আর মারধর করে চুল ধরে একে অপরের নাম নেয়, তখন আমি ওদের নাম শুনতে পাই। ওরা ছিল সুষ্মিতা বাড়ই, সোনালী আক্তার এবং জ্যোতি সাহা।’ তিনি ফেসবুকে আরও বলেন, ওরা আমাকে মারতে মারতে মাটিতে শুয়ে ফেলে এবং আমার ওড়না টেনে ফেলে দেয়, আমাকে বিবস্ত্র করে ফেলে..... বলে পোলাপাই ডাক ওরে মাইরা ফেল.... কেউ আমাকে বাঁচাতে আসেনি....এটা কি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, যে দেশের একটি সাধারণ মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে পারবে না।জাতির কাছে প্রশ্ন...!!!! আজ আমি একা বলে বিচার পেলাম না.....বিচার চাই.....". এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি বন্ধুদের নিয়ে সেখানে আড্ডা দিচ্ছিলাম, তখন দেখি কয়েকটি মেয়ের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে। পরে অনেক লোক সেখানে জড়ো হন। এ ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে হামলাকারীদের একজন সুষ্মিতা আনিকাকে কল দিয়ে এ ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে সুস্মিতা অনুরোধ করেন বলেও জানান আনিকা।  এই হামলার ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় তা মুছে দিতেও হুমকি আসছে বলে জানালেন অনিকা। এ ক্ষেত্রে দলীয় লোকদের হয়রানির আশঙ্কায় থানায় অভিযোগ করা থেকেও বিরত থাকতে হচ্ছে বলে তিনি বলেন। এ বিষয়ে সুস্মিতা বাড়ৈ যুগান্তরকে বলেন, আমরা বান্ধবীরা কলেজের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় এক বান্ধবী আরেক বান্ধবীকে মজা করে বলছিল, এই তোকে আজ হিজড়াদের মত লাগছে। এই সময় ওই নারী পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। উনি এসে বলেন—  থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেব। তখন আমরা বললাম আপনি থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দিবেন কেন? তখন তিনি বলেন, আমরা নাকি তাকে হিজড়া বলেছি। এ নিয়ে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে লেখক দাদা ( ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক) আমাকে ফোন দিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। ‘লেখক দাদাকে বিস্তারিত বলার পর দাদা ওই নারীর ফোন নম্বর আমাকে দেন। পরে আমি তার কাছে ফোন দিয়ে সরি বলেছি।’ সুস্মিতা বাড়ৈ আরও বলেন, ওই নারীকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি না।  এ বিষয়ে জানতে বুধবার বিকালে লেখক ভট্টাচার্যকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইডেন কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক পথচারী নারী। এসময় কলেজ ছাত্রলীগের তিন কর্মী তাকে ‘হিজড়া’ বলে ডাক দেন। প্রতিবাদ করায় ওই নারীর ওপর চড়াও হন তারা। তাকে বেধরক মারধর করা হয়।
২৪ দিন পর ডাকসু ভিপির কক্ষে নুর
ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার ২৪ দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর তার  কক্ষে প্রবেশ করেছেন। বুধবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তিনি ডাকসু ভিপির কক্ষে আসেন। এসময় নিরাপত্তা কর্মীরা তার কক্ষের তালা খুলে দেন।  এ সময় ডাকসু ভিপির সঙ্গে ছিলেন সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সাধারন ছাত্র ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাশেদ খান, পরিষদের নেতা মশিউর রহমান, বিন ইয়ামীন মোল্লা, সোহরাব হোসেনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।  নুরুল হক নুর যুগান্তরকে বলেন, ২২ ডিসেম্বর ডাকসুতে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যে হামলা হয়েছে সেটা সরকারের মদদেই হয়েছে। তারপরও সরকারের অনেকেই এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু এই হামলায় যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তারা এখনও ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো অতিদ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনাদের যে কোন সমস্যা নিয়ে ভিপির রুমে আসুন। মামলা-হামলা করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। বরং আমরা নতুন করে জন্মাবো, দারুণ সূর্য্য হব।  এ সময় তিনি প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের হলে সিট নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দেন। প্রসঙ্গত গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভিপির কক্ষে বাতি নিভিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে ডাকসু ভিপি নুরসহ তার বেশ কয়েকজন সঙ্গী গুরুতর আহত হন। এরপর দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেন ভিপি নুর।
ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চেরহামলার ২৪ দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর তার কক্ষে প্রবেশ করেছেন।
নতুন চমক নিয়ে বাণিজ্য মেলায় শিশু-কিশোরদের ‘বিজ্ঞানবাক্স’
শিক্ষামূলক বিনোদন উপকরণ তৈরির জন্য সুপরিচিত অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স এবার বাণিজ্য মেলায় শিশু কিশোরদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে।  অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স বাংলাদেশে তৈরি প্রথম সায়েন্স কিট, যা উৎপাদন এবং বিপণন করে থাকে অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স। বিজ্ঞানবাক্সের ভেতরে নানারকম উপাদান দেয়া থাকে, যা দিয়ে বিজ্ঞানের নানারকম পরীক্ষণ করা যায়।  সঙ্গে সহায়ক বই এবং সিডি দেয়ার কারণে শিশু-কিশোরেরা খুব সহজেই অন্যের সাহায্য ছাড়াই এক্সপেরিমেন্টগুলো করতে পারে। বিজ্ঞানবাক্সের মাধ্যমে পাঠ্যবইয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্র হাতে কলমে পরীক্ষা করে দেখার ফলে বিজ্ঞান শিক্ষা তাদের কাছে সহজতর হয়।        বিজ্ঞানবাক্সগুলো মূলত বিষয়ভিত্তিক হয়ে থাকে। যেমন আলো, চুম্বক, তড়িৎ, রসায়ন, শব্দ, মাপজোখ এসব বিষয় নিয়ে ৬টি বিজ্ঞানবাক্স রয়েছে। তবে এবারই প্রথম এসেছে শ্রেণিভিত্তিক বিজ্ঞানবাক্স।  পঞ্চম শ্রেণির সকল এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে এসেছে নতুন বিজ্ঞানবাক্স। এই বিজ্ঞানবাক্সটি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের পাঠ প্রদানের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। ফলে, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী, উভয়েরই উপকারে আসবে এই বিজ্ঞানবাক্সটি।  এছাড়াও নতুন আকর্ষণ হিসেবে আছে মনোযোগ বাড়ানোর খেলা ‘ফোকাস চ্যালেঞ্জ’। শিগগির আসবে জ্যামিতিক আকৃতি দিয়ে নানারকম চিত্র তৈরির খেলা ট্যানগ্রাম এবং স্মার্টকিট ‘ক্যাপ্টেন কিউরিয়াস’।  এবারের মেলা উপলক্ষে বিজ্ঞানবাক্সে রয়েছে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট এবং সারপ্রাইজ গিফট। বিজ্ঞানবাক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিটি বিজ্ঞানবাক্সে ৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট থাকছে।  এছাড়াও থাকছে বিজ্ঞানবাক্সের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার পাবার সুযোগ, যেমন- খাতা, ব্যাজ, স্টিকার ইত্যাদি। প্রতি সপ্তাহে তিনজন ক্রেতা #ilovebigganbaksho হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে পেয়ে যাবেন সেলফি স্টিক, ভিআর বক্স, স্কুলব্যাগসহ দারুণ সব উপহার।   কোন বয়স থেকে বিজ্ঞানবাক্স ব্যবহার করা যাবে? এ প্রশ্নের জবাবে স্টলকর্মী মামুন বলেন, বিভিন্ন বয়সের জন্য বিভিন্ন বক্স উপযোগী হবে। নতুন কিট ফোকাস চ্যালেঞ্জ এবং ট্যানগ্রাম ৩+ বয়স থেকেই ব্যবহার করা যাবে। বাকিগুলো ৬+ বয়সী শিশুদের উপযোগী।  কেন বিজ্ঞানবাক্স কিনছেন? এ প্রশ্নের জবাবে অভিভাবক সাবিহা রহমান জানালেন, সন্তানকে ক্রিয়েটিভ এবং কৌতূহলী করে তোলার জন্য বিজ্ঞানবাক্সের বিকল্প নেই। হাতে কলমে বিজ্ঞান শেখার জন্য এটি বেশ সহায়ক।  বিজ্ঞানবাক্সের স্টল নাম্বার পিএমপি-৩৮। প্রথম গেট দিয়ে ঢুকলেই হাতের বামে স্টলটি পাওয়া যাবে। অফার এবং যাবতীয় আপডেট বিস্তারিত পাওয়া যাবে বিজ্ঞানবাক্সের ওয়েবসাইটে www.bigganbaksho.com এই ঠিকানায়।
শিক্ষামূলক বিনোদন উপকরণ তৈরির জন্য সুপরিচিত অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স এবার বাণিজ্য মেলায় শিশু কিশোরদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে।
সিটির ভোটের তারিখ বদলের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ফের অবস্থান
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা এখন রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করছে। আগের দিনের ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি শুরু করেন। পরে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে শাহবাগে অবস্থান নেন তারা।  এই পদযাত্রার কারণে শাহবাগ মোড়ের চতুর্দিকের সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সব দিকের সড়কেই গাড়ি আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। এর মধ্যে দাবি না মানলে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করা হবে। তারই অংশ হিসেবে আমরা এখন শাহবাগে অবস্থান নিয়েছি। আমরা আমাদের কর্মসূচি শুরু করব।   এর আগে মঙ্গলবার শাহবাগ চত্বর থেকে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ পেছাতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ১৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর ১২টায় সেই সময় শেষ হয়। এর মধ্যে ভোটের তারিখ পরিবর্তন করা না হলে তারা ইসি অভিমুখে যাত্রা করবেন বলে আগেই বলে রাখেন।   তারা পূজার দিনে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টার অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদেরও পদত্যাগ দাবি করেন। প্রসঙ্গত, ৩০ জানুয়ারি দুই সিটির ভোটের দিন ঠিক করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা। তাই ভোটের দিন বদলানোর দাবি জানান সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা এখন রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করছে।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে নিজামুদ্দিন মার্কাজের প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে তাবলিগের মূলকেন্দ্র দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে।  নিজামুদ্দিন মার্কাজের প্রবীণ মুরব্বি মাওলানা আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে ৩২ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল বুধবার বিকালে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পৌঁছায়। নিজামুদ্দিন মার্কাজের প্রধান মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অবর্তমানে তারাই ইজতেমা পরিচালনা করবেন। জামাতের অপর সদস্যরা হলেন মাওলানা শামীম আহমেদ, মাওলানা জামশেদ, মাওলানা মিয়াজী আজমত উল্লাহ, মাওলানা মুফতি শেহজাদ, মাওলানা রিয়াজুর রহমান, মাওলানা ইকবাল হাফিজ প্রমুখ।  বিশ্ব ইজতেমার এ দফায়ও দেশের ৬৪টি জেলার কয়েক লাখ মুসল্লিসহ বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশের ১০ সহস্রাধিক মেহমান ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটি। সরকারি পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা সাদ কান্ধলভী এবারের ইজতেমায় অংশ নেবেন না। তাই নিজামুদ্দিনের এসব মুরব্বিরাই দ্বিতীয় ধাপের এ ইজতেমায় বয়ান ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুপস্থিতিতে এ ইজতেমায় আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নিজামুদ্দিন মারকাজের প্রবীণ মুরব্বি মাওলানা আবদুস সাত্তার। তিনি তাবলীগ জামাতের দ্বিতীয় হজরতজী মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভীর সংস্পর্ষধন্য বলে জানা গেছে।  তাবলিগ সূত্র আরও জানায়, বিশ্ব ইজতেমার শুরু থেকেই নিজামুদ্দীন মার্কাজের মুরব্বিরা পরিচালনা করেন। কিন্তু তাবলিগ জামাত দুভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় একটি পক্ষ নিজামুদ্দিন মার্কাজ ত্যাগ করে। ইজতেমার প্রথম অংশে নিজামুদ্দিন ছেড়ে যাওয়া দুই শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ইবরাহিম দেওলা ও মাওলানা আহমদ লাট অংশ নিয়েছেন।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে তাবলিগের মূলকেন্দ্র দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে।
পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে : ইশরাক, বিধি মেনেই প্রচার : তাপস
ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারের পঞ্চমদিন মঙ্গলবারও ছিল উৎসবমুখর। এদিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ব্যস্ত সময় পার করেন। প্রচারকালে নানা অভিযোগ তুলে ইশরাক বলেন, ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। যারা পোস্টার লাগাতে যাচ্ছে, তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে। নির্বাচনের কোথাও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই। অন্যদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন নয় বরং মেনেই নির্বাচনী প্রচার চালানো হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান ফজলে নূর তাপস। স্বপ্নের ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে দিনের ২৪ ঘণ্টা আপনাদের জন্য কাজ করব। ইশরাকের প্রচার : বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার ত্রিমোহনী বাজার থেকে গণসংযোগ শুরু করেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। এ সময় তিনি উল্লিখিত অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, এমনও হুমকি দেয়া হচ্ছে পোস্টার লাগাতে এলে থানা পুলিশে দেবে। পোস্টার লাগানো কি অপরাধ? তাহলে কেন থানা পুলিশে দেয়ার হুমকি দেয়া হবে? আসলে দেশে একটা অপশাসন, স্বৈরশাসন চলছে, একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। ইশরাক হোসেন এলাকাবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ৩০ জানুয়ারি যদি ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন, আমি প্রতিজ্ঞা করতে চাই, আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাব। সুখে-দুঃখে সব সময় আপনাদের পাশে থাকব। পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নে যা যা করা দরকার, আমি আমার রক্ত-ঘাম দিয়ে তা-ই করব। তিনি বলেন, ১৩ বছরে দেশকে তিলে তিলে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই, কারও কথা বলার অধিকার নেই। উন্নয়নের নামে ধোয়া তোলা হচ্ছে; কিন্তু আমরা কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি না। ঢাকা আজ সবচেয়ে দূষিত ও বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় ১ নম্বরে আসে। এই এলাকায় আসার সময় দুই পাশের যে জলাশয়, রাস্তাঘাটের করুণ দশা দেখেছি, তা দেখে সত্যিই খারাপ লেগেছে। এই সরকার বলে তারা উন্নয়ন করেছে, স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে, অমুক সেতু, তমুক সেতু করছে। কিন্তু এগুলো সবই আসলে দুর্নীতির প্রজেক্ট। মেগা প্রজেক্ট তারা করছে, সেখান থেকে লক্ষ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে আরাম-আয়েশে তারা ফুর্তি করছে। আর বাংলাদেশের আমরা যারা সাধারণ নাগরিক রয়েছি, দিন দিন আমাদের দুর্দশা বেড়েই চলেছে। ইশরাক হোসেন বলেন, সিটি নির্বাচন ইশরাক হোসেনের লড়াই নয়, এটা ধানের শীষের লড়াই, জনগণের লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই। আপনারা সেই লড়াইয়ে শরিক হবেন। ইনশাআল্লাহ ৩০ তারিখে ভোট দিবেন। আমরা সেই পরিবেশ নিশ্চিত করব। জনগণের অধিকার, কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনব। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা ফিল্ড তৈরি হচ্ছে, সেটা হচ্ছে ভোট ডাকাতির ফিল্ড। কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। একতরফা ফিল্ড তৈরি হচ্ছে। ইশরাক বলেন, আমরা আর অভিযোগ করতে চাই না। আমরা শুধু এতটুকু বলতে চাই, জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমরা তাদের শক্তি নিতে এগিয়ে যাব। কারও কোনো বাধা আমরা মানব না। কোনো নালিশ কাউকে দেব না। মহান আল্লাহ উপরে আছেন, উনি দেখছেন, আর নিচে আমাদের জনগণ। আমাদের শক্তি জনগণ। বিএনপির মেয়রপ্রার্থী বলেন, সিটি কর্পোরেশনে নতুন করে যুক্ত হওয়া এলাকাগুলোর উন্নয়নে আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন যে ওয়ার্ডগুলো যুক্ত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আমাদের ইশতেহারে তুলে ধরব। আপনারা জানেন, সরকার তো শহরের ভেতরে ওয়ার্ডগুলোতেও নজর দেয় না। বাইরের ওয়ার্ডগুলো তো আরও দূরের কথা। তারা পুলিশি শক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। এ ব্যাপারে তারা কোনো কর্ণপাত করে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব অপশক্তি আমরা প্রতিরোধ করব এবং আমাদের বিজয় আসবেই। জনগণের বিজয় যুগে যুগে হয়েছে। এ সময় ইশরাকের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ। এ ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগকালে ইশরাক স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন এবং ধানের শীষে ভোট চান। এরপর দিনভর নন্দিপাড়া, পূর্ব মাদারটেক, মাদারটেক চৌরাস্তা, গোরান, বাসাবো, সবুজবাগ, মুগদাসহ ৩, ৪, ৫, ৭, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় ইশরাক হোসেনের সঙ্গে শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থককে হাত মেলাতে দেখা যায়। জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণও করেন তিনি। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ধানমণ্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে ইশরাক হোসেন ষষ্ঠদিনের মতো নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। পরে দিনভর ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, কলাবাগান থানার ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ চালাবেন। তাপসের প্রচার : সকালে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ৫৫নং ওয়ার্ডের ঝাউচর এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি বলেন, আমি নির্বাচনী প্রচারে কোনো ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না, আমার নেতাকর্মীরা করছে না। বরং আইন মেনেই প্রচার চালাচ্ছি। তাপস বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমরা জয়ী হতে পারলে বছরে ৩৬৫ দিন, সপ্তাহে ৭ দিন, দিনরাত ২৪ ঘণ্টা, মিনিটে ৩৬০০ সেকেন্ডেই আপনাদের জন্য কাজ করব।’ তিনি বলেন, ‘নগর ভবনের অভিভাবক হিসেবে আমাকে পাঠানো হলে এই নগরীকে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখানকার রাস্তাঘাট, অলিগলি সবকিছুই উন্নত হবে। তিনি বলেন, ঢাকা আমাদের প্রাণের শহর। আসুন আমাদের ঢাকাকে আমরাই গড়ে তুলি। আমাদের উন্নত ঢাকা গড়ার জন্য নৌকার পক্ষে সবাই ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করতে হবে। এই নতুন যাত্রায় আমরা বিশ্বাস করি ঢাকাকে আধুনিকরূপে পরিণত করার সুযোগ প্রদান করবে জনগণ।’ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন পরিক্রমা তুলে ধরে তাপস বলেন, ‘এই এলাকা আগে ইউনিয়নভুক্ত ছিল। এখন সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত হয়েছে। এই কামরাঙ্গীরচর যাতে উন্নত ঢাকার একটি অংশ হয়, সেজন্য এখানকার সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। আমরা সেই উন্নয়ন কার্যক্রমকে শুধু ত্বরান্বিত নয়, আমরা চাই অবহেলিত কামরাঙ্গীরচর যেন আধুনিক ঢাকা হিসেবে রূপ পায়। তিনি বলেন, ‘উন্নত ঢাকা গড়ার জন্য নৌকা মার্কায় আমাকে ভোট দিন। অবহেলিত এই কামরাঙ্গীরচরকে উন্নত ঢাকায় পরিণত করব। এখানকার রাস্তাঘাট, অলিগলি সবকিছুই উন্নত হবে।’ শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ঢাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছে, এগিয়ে আসছে এবং আমাদের উন্নয়ন ও পরিকল্পনায় তারা সাড়া দিয়েছে। আমাদের প্রাণের ঢাকাকে সুন্দর করার সুযোগ পেয়েছি। এই ঢাকায় আমরা যারা বসবাস করি, সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন জেলার মানুষ যে প্রান্ত থেকেই আসি না কেন, এই ঢাকা আমাদের সবার। আমরা ঢাকাবাসী, আমরা আমাদের উন্নত ঢাকা গড়ব।’ পরে ঝাউচর এলাকার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নুরে আলম (ঠেলাগাড়ি মার্কা) এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শেফালী আক্তারকে (আনারস মার্কা) পরিচয় করিয়ে দেন তাপস। এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস, হাজী আবুল হাসনাত, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিলসহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পথসভা শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় জনগণের কাছে লিফলেট বিতরণ করে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন শেখ ফজলে নূর তাপস। দিনব্যাপী ৫৫, ৫৬ এবং ৫৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালান শেখ ফজলে নূর তাপস। পথসভায় ও প্রচারে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শেখ ফজলে নূর তাপস আপনাদের পাশে থাকবেন এবং একটি উন্নত দুর্নীতিমুক্ত সিটি কর্পোরেশন উপহার দেবেন। ইতিমধ্যে তিনি নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রমাণ করেছেন মানুষের কল্যাণে জনগণকে সেবা দিতে তিনি সমর্থ। তার সেই যোগ্যতা আছে। ৩০ তারিখ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি। প্রচারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজধানীর ঢাকার উন্নয়ন অগ্রগতি এবং আধুনিক ঢাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শেখ ফজলে নূর তাপস অত্যন্ত ‘যুগোপযোগী এবং সাহসী’ প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতিটি মানুষের জন্য বাসযোগ্য নিরাপদ ঢাকা গড়ে তুলতে পারবেন তিনি। নৌকায় ভোট দিয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছিলাম, নৌকায় ভোট দিয়ে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ উপহার দিতে পেরেছি, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ৩০ জানুয়ারি নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখতে নগরবাসীকে অনুরোধ করেন তিনি। আজ বুধবার বেলা ১১টায় শ্যামপুর থানার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নেমে ধোলাইপাড় যাওয়ার রাস্তা এবং এর আশপাশে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করবেন ফজলে নূর তাপস।
ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারের পঞ্চমদিন মঙ্গলবারও ছিল উৎসবমুখর। এদিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ব্যস্ত সময় পার করেন।
অভিযোগ অসত্য : আতিকুল, প্রচারে হামলা : তাবিথ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচারের মাঠে বাড়ছে উত্তাপ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরের বিভিন্ন এলাকা দিনভর চষে বেড়াচ্ছেন। পিছিয়ে নেই বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালও। তবে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই দাবি করে প্রচারে হামলার অভিযোগ করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী। অন্যদিকে বিএনপির অভিযোগকে অসত্য দাবি করে তা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে সবাই মিলে সুস্থ ঢাকা গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন নৌকার প্রার্থী। মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ে পথসভার মাধ্যমে আতিকুল ইসলাম পঞ্চম দিনের মতো তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। আর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাড্ডা ফুজি টাওয়ার থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তাবিথ আউয়াল। এ সময় দুই মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে নগর ও কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীও প্রচারে অংশ নেন। আতিকুলের গণসংযোগ : ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে যেমন আমাদের নাশতা করতে হয়, ব্যায়াম করতে হয়। তেমনি বিএনপির প্রতিদিনই একটা করে কথা বলতে হয় যে, ‘আমাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেয়া হচ্ছে না।আমাদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না।’ এই ধরনের মিথ্যা অসত্য অভিযোগ থেকে প্রতিপক্ষকে বিরত থাকারও অনুরোধ করেন তিনি। আতিকুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। গতকাল (সোমবার) তারা ফার্মগেটে ক্যাম্পেইন করেছে। কেউ বলতে পারবে না সেখানে একটি জায়গায় তাদের ওপর হামলা হয়েছে? খিলগাঁও-তালতলায় প্রচার চালিয়েছে। রিকশায় করে মাইক বাজিয়েছে। কেউ বাধা দেয়নি। আমি বরং হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিয়েছি। উত্তরায় তারা নির্বিঘ্নে প্রচার চালিয়েছে কেউ বাধা দেয়নি। পঞ্চম দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সবাইকে অনুরোধ করব। আপনারা প্রত্যেকে মানুষের দ্বারে দ্বারে যান। সেখানে গিয়ে উন্নয়নের কথা বলুন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ অনেক। কিন্তু আমরা মনে করি, ‘ইম্পসিবল’ বলে দুনিয়াতে কিছু নেই। সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি ইনশাআল্লাহ আমরা ‘পসিবল’ করবই। আতিকুল বলেন, দীর্ঘ নয় মাস আমি কঠিন অনুশীলন করেছি। এর মাঝে বেশকিছু উন্নয়নও হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, আগারগাঁওয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের চেয়েও বড় সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। ১০ কিলোমিটার সড়ক সাইকেল চলার উপযোগী করা হয়েছে। এই সড়কে সবাই বিনোদনের জন্য আসতে পারবেন। বসার ব্যবস্থা থাকবে, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে ৭টি পার্ককে আধুনিকায়ন করেছি। কিছু খালি জায়গা তবে ছোট; সেগুলো বড় মাঠ বা পার্ক করা যাবে না। তাই সেগুলোকে শুধু শিশুপার্ক করার জন্য কাজ শুরু করেছি। আমাদের সব উন্নয়ন ঠিকমতো হবে যদি যুব সমাজ মাদকমুক্ত থাকে। এজন্য তাদের বিনোদন এবং খেলার মধ্যে রাখতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যখন আসলাম আমার পাশে আপারানা কি কোনো সংসদ সদস্যকে দেখেছেন। আমি কিন্তু দেখিনি। এটা ওনার এলাকা। ওনি এখানে ঘোরাফেরা করতে পারেন। কিন্তু আমার ক্যাম্পেইনে কিন্তু নেই। এটা আমিও চাই না। উনিও পারবেন না। এর আগে বক্তব্যের শুরুতে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ফোরকান হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হামিদা আক্তার মিতাকে পরিচয় করিয়ে দেন আতিক। এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানসহ নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। এদিকে পথসভা শেষে তৃতীয় দিনের প্রচারে আগারগাঁও থেকে আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির ৩০, ৩১ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ করেন। আগারগাঁওয়ের তালতলা শতদল কমপ্লেক্স এলাকায় প্রচার চালিয়ে যখন তিনি বেরিয়ে আসছিলেন, তখন সড়কে মেয়র প্রার্থীকে ঘিরে ধরে উচ্ছ্বসিত শিশুর দল। তাদের আবদারে সেখানেই বসে পড়েন আতিকুল ইসলাম। এরপর তাদের সঙ্গে মেতে ওঠেন উচ্ছ্বাসে। সেখানেই এই মেয়র প্রার্থী আগামীর প্রজন্মকে নিয়ে নিজের স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথা জানান। আতিকুল বলেন, এই শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। এই শিশুরাই আগামীর সম্পদ। আমি মনে করি তাদের জন্য বিশেষ কিছু করতে হবে। শিশুরা যেন নির্বিঘ্নে পার্কে খেলতে পারে, সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, এই শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশ। তাই এই শিশুদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে, তাদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে খেলার মাঠ দিতে হবে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিজয়ী হলে এই শিশুদের জন্য বিশেষ নজর দেব। এ সময় শিশুদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড নিজ হাতে তুলে নেন আতিকুল। তিনি নারী ও শিশুবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মেয়র প্রার্থী বলেন, আমরা এই শিশু-যুবকদের জন্য এমন কিছু করব, তারা যেন নিজেদের উদ্ভাসিত করতে পারে, দেশকে আলোকিত করতে পারে। প্রচারণার এক ফাঁকে শিশুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় যোগ দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ সময় তাকে ব্যাট হাতে বল মারতে দেখা যায়। পাশে থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এ সময় ‘আতিক, আতিক’ বলে স্লোগান দেন। বিকালে বনানীর নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। আজ ফার্মগেটের আল-রাজি হাসপাতালের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন আতিকুল ইসলাম। এরপর দিনভর হলিক্রস স্কুল, ছাপরা মসজিদ, লুকাস রেলগেট, নাবিস্ক, কুনিপাড়া, বেগুনবাড়ী, তেজগাঁওসহ  ২৩, ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করবেন। এছাড়া বিকালে ৩টায় বাঙলা কলেজে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা ৬টায় বিএফডিসিতে চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটায় ফার্মগেটের একটি রেস্টুরেন্টে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। তাবিথের গণসংযোগ : উত্তরের মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন স্থানে আমাদের প্রচারে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। ৪৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়েছে, ভাংচুর হয়েছে। ১৮নং ওয়ার্ড যেখানে আমি একটা নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম, পেছন থেকে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। সে হামলাতে তিনজন আহত হয়েছে। এছাড়া নিয়মিতই পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। মঙ্গলবার নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব অভিযোগ করেন। বেলা ১১টায় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাড্ডা ফুজি টাওয়ার থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন তাবিথ। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ‘ধানের শীষ’, ‘ধানের শীষ’ স্লোগানে চারদিক প্রকম্পিত করে তোলে। তিনি লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থনা করেন। তাবিথ আউয়াল বলেন, ভোটাররা উৎসবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকের ওপর হামলার চেষ্টা করা হচ্ছে, যেন তারা আতঙ্কে থাকে। আমি বারবার বলছি, আমাদের মনোবল শক্ত আছে। আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম, সেটি নিয়মিত প্রমাণিত হচ্ছে। হামলা বাড়লে কিভাবে মোকাবেল করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনমত আমাদের পক্ষে। জনগণ আমাদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে এবং এগুলো দেখেই কিন্তু হামলা করা হচ্ছে। উনারা হতাশাগ্রস্ত, দিশেহারা। ওনারা বুঝতে পারছেন না, কী করবেন। স্বাভাবিকভাবে প্রচারে অংশ নিতে পারছেন নাকি পুলিশি হয়রানি রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, নেতাকর্মীরা দিনের বেলায় স্বাভাবিকভাবে প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন। যখনই আমরা প্রচার বন্ধ করে দিই, রাতে ওনাদের বাসায় খোঁজখবর নিচ্ছে, কখনও ইউনিফর্ম পরে, কখনও সাদা পোশাকে। তিনি বলেন, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু  নেই। শত বাধার পরও বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্ত আছে। তারা যতই উসকানি দিক আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে আছি, থাকব। তাবিথ আউয়াল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একের পর এক হামলার ঘটনা প্রমাণ করছে জনমত আমাদের পক্ষে। জনগণ আমাদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। তাবিথ আউয়াল নির্বাচন কমিশন ও কর্তৃপক্ষকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আইন মেনে ভোটারদের অধিকার ফিরিয়ে দিন। এরপর উত্তর বাড্ডা লিংক রোড থেকে মধ্য বাড্ডা বাজার, স্কুল রোড, মেরুল বাড্ডা, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের পোস্ট অফিস থেকে শুরু হয়ে পাঁচতলা এলাকায় গণসংযোগ করেন তাবিথ আউয়াল। সেখান থেকে দক্ষিণ আনন্দনগর, আফতাবনগর মেইন রোড থেকে মধ্যবাড্ডায় প্রচার চালান তিনি। প্রতিটি জায়গায় দেখা গেছে, জনতার ঢল। গণসংযোগে তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বারিধারা মা ও শিশু  হাসপাতাল, বারিধারা নতুন বাজার, ভাটারার মোড়, ছোলমাইদ, ছাপরা মসজিদ, কোকাকোলার মোড় ও বারিধারা জে ব্লকে গণসংযোগ করেন তাবিথ। প্রচারের সময় অনেকে তাকে দেখে এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে দোয়া করেন। দোকানিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় তাদের সমস্যার কথা শুনেন। গণসংযোগকালে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাবিথ আউয়াল লিফলেট বিতরণ করেন। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা ‘খালেদা জিয়ার সালাম নিন, তারেক রহমানের সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন।’ ‘দুর্নীতি দুঃশাসন প্রতিরোধে, আপস করবে না ঢাকাবাসী।’ ‘নগরবাসীর একটি ভোটে, খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। বাড্ডা আদর্শনগর প্রবেশদ্বারে তাবিথ বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি মেনে এবং জনগণের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখেই প্রচার চালাচ্ছি। জনগণ আমাদের পক্ষে থাকায়- এতে সরকার ভয় পেয়ে গিয়ে আমাদের ওপর হামলা করছে। ‘বিএনপির মেয়র প্রার্থী মিথ্যাচার করছে’- আওয়ামী লীগ মনোনীত উত্তরের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, তার বক্তব্যের জবাব দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, আমার ভাষাটাও জানা নেই। আমাদের সবারই অভিযোগ দেয়ার জায়গা নির্বাচন কমিশনে। আশা করি অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশনই খতিয়ে দেখবে কতটুকু সত্য, কতটা সত্যতা নেই। পাল্টাপাল্টি কথা না বলে আমাদের সবারই উচিত ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা, তাদের মাঝে যাওয়া। তারা যে রায় দেবে, সে রায়টা যেন আমরা সবাই মানি। মেরুল বাড্ডার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে। জলাবদ্ধতা, বর্জ্য, পয়ঃনিষ্কাশন সবচেয়ে বেশি সমস্যা এই এলাকার। রাতের বেলা লাইটিং ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভয়ভীতিতে বাস করে। দুর্নীতি দমনসহ ১২ সমস্যা দমনে প্রতিশ্রুতি দেন তাবিথ। আজ সকাল ১০টায় উত্তর বাড্ডার রহমতুল্লাহ গার্মেন্ট থেকে গণসংযোগ শুরু করবেন তাবিথ আউয়াল। এরপর দিনভর ১৭, ৪১, ৪২ ও ৪৩নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় তিনি প্রচার চালাবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচারের মাঠে বাড়ছে উত্তাপ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরের বিভিন্ন এলাকা দিনভর চষে বেড়াচ্ছেন।
ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত: আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে পাঁচ দেশ
তেহরানে ভুল করে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় নজিরবিহীন চাপে পড়েছে ইরান। প্রথমে বিমান বিধ্বস্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা নাকচ করলেও পরে তা স্বীকার করে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা দুঃখ প্রকাশ করেন। এ দায় স্বীকারের পর ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাঁচটি দেশ। এদিকে, ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বিমান ভূপাতিত করার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধরপাকড় শুরু করেছে ইরান। তেহরানে বিমান ভূপাতিত করার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, কারণ ট্রাম্পের উসকে দেয়া উত্তেজনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার ইরাকে আবারও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর দায় কেউ স্বীকার করেনি। এদিকে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত মার্কিন সামরিক ঘাঁটির ছবি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে। হামলার ১০ দিন পর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর আয়োজনে সাংবাদিকরা হামলাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে তারা সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। খবর বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি ও রয়টার্সের। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে পাঁচটি দেশ। তবে কোন পাঁচটি দেশ তা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে- ইরান বাদে যে দেশগুলোর নাগরিকরা বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন সে দেশগুলো তেহরানের বিরুদ্ধে মামলা করবে। মঙ্গলবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিসতাইকো জানান, লন্ডনে বৃহস্পতিবার দেশগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হবে। সেখানে ইরানের বিরুদ্ধে আইনগত কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। সিঙ্গাপুর সফররত ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আইনগত পদক্ষেপসহ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ৮ জানুয়ারি ভুল করে তেহরানে ইউক্রেনের বিমানটি ভূপাতিত করে ইরান। এতে বিমানটির ১৭৬ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ইরানের ৮২, কানাডার ৫৭, ইউক্রেনের ১১, সুইডেনের ১০, আফগানিস্তানের চার এবং ব্রিটেন ও জার্মানির তিনজন করে নাগরিক নিহত হন। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার পর প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়া ইরান অভিযুক্তদের ধরপাকড় শুরু করেছে। বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কতজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানা যায়নি। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, বিচার বিভাগ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে। তবে এ ঘটনায় যে ব্যক্তি ট্রিগারটি চেপেছেন, কেবল তাকে একতরফাভাবে দোষ দেয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের ভুল হিসেবে এটা মেনে নিয়েছে। যা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর হবে না। ‘বিশেষ আদালতের’ তদারকিতে ঘটনার তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেন বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আর কিছু জানাতে চাননি তিনি। ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তে ট্রাম্প দায়ী : জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকে দেয়া উত্তেজনাতেই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার গ্লোবাল টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা না ছড়ালে বিমানের যাত্রীরা আজও বেঁচে থাকতেন। তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্রবিহীন ইরান যেমন দরকার, তেমনি আঞ্চলিক উত্তেজনাও নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। সাম্প্রতিক উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের মাধ্যমেও ডেকে আনা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বিমানটির ১৭৬ যাত্রীর মধ্যে ৫৭ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন। সাত মাস আগে সোলেমানি হত্যায় অনুমোদন দেন ট্রাম্প : সাত মাস আগে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তাতে শর্ত উল্লেখ করে কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হয়নি। পাঁচ সাবেক ও বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইরানের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনে কোনো আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যু হলে সোলেমানিকে হত্যায় সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করা যাবে। আসন্ন হুমকির কথা বলে সোলেমানিকে হত্যা করা হলেও ফাঁস হওয়া তথ্য সেই দাবিকে আরও জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। মার্কিন সেনাদের বিশ্বাস, কয়েকজন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর জন্য সোলেমানি দায়ী। ইরাকে ইরানি ছায়া বাহিনীর হামলার জবাবে ট্রাম্পের কাছে যেসব বিকল্প তুলে ধরা হয়, তার মধ্য দিয়ে সেখানে সোলেমানি হত্যার সিদ্ধান্তকে বেছে নেয়া হয়। এর আগে ইরাকি ছায়া বাহিনীর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হন। হামলার ক্ষেত্রে পাল্টা প্রতিশোধ আসার যে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল তা আমলে নেননি ট্রাম্প। তখন তিনি বলেছিলেন, তারা (ইরান) যদি আমেরিকানদের ওপর আঘাত হানে, তবেই এ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে। সোলেমানিকে হত্যার অনুমোদনে তোড়জোড় করেছিলেন সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেনারেল সোলেমানিকে হত্যার পর বোল্টন তাতে সমর্থন জানিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ হামলার পক্ষে ছিলেন। ফক্স নিউজকে গত সপ্তাহে তিনি বলেন, বেশ কিছু হামলার ষড়যন্ত্র করেছিলেন সোলেমানি। ট্রাম্প দাবি করেন, বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোলেমানি। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে এক নম্বর সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি সোলেমানিকে হত্যার পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন। ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে সোলেমানিকে হত্যা করা হয়। সোলেমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ৮ জানুয়ারি ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এর কয়েক ঘণ্টা পর তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ইরানের হাত রয়েছে বলে গুঞ্জন উঠলেও প্রথমে তা অস্বীকার করে তেহরান। পরে অবশ্য ইরান স্বীকার করে। বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে ক্ষমতাসীনরা মিথ্যাচার করেছেন এমন অভিযোগ এনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ইরানিরা। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত মার্কিন সামরিক ঘাঁটির ছবি প্রকাশ : ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১০ দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাংবাদিকরা। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর আয়োজনে মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা হামলাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে তারা সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদের বিধ্বস্ত ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ইরানি জেনারেল সোলেমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ৩ জানুয়ারি ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। ইরাকে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে আবার হামলা : মঙ্গলবার ইরাকে আবার মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এর দায় কেউ স্বীকার করেনি। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় এর বিচার চেয়েছে ওয়াশিংটন। এর আগে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের হুশিয়ারি দেন। এ হুশিয়ারির মধ্যেই আবার হামলা হল।
তেহরানে ভুল করে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় নজিরবিহীন চাপে পড়েছে ইরান। প্রথমে বিমান বিধ্বস্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা নাকচ করলেও পরে তা স্বীকার করে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।
টালমাটাল শেয়ারবাজারে বড় দরপতন
ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে দেশের শেয়ারবাজার। প্রতিদিনই বড় দরপতন হচ্ছে। সোম ও মঙ্গলবারের অস্বাভাবিক পতনে শেয়ারবাজার রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ২০১০ সালে ধসের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ফিরে গেছে বাজার। পুঁজি হারিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। মামলার ভয় দূরে ঠেলে ভয়াবহ এই পতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আগের কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিনিয়োগকারীরা। ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদে’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ হয়। সোমবারের বড় দরপতনের রেশ না কাটতেই মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে ডিএসইএক্স নেমে এসেছে ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ ভিত্তি পয়েন্টের নিচে নেমে গেল সূচক। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৭৫ পয়েন্ট। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১ হাজার ৮২৪ পয়েন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে সোমবার সবচেয়ে বড় দরপতন ঘটে। মঙ্গলবারও এই ধারা অব্যাহত থাকে। দুই দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭৬ বা পৌনে ৪ শতাংশের বেশি কমেছে। প্রধান সূচক প্রায় ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিু হলেও অধিকাংশ শেয়ারের দাম ৯ বছর আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। বিক্ষোভ থেকে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানায়। এর আগে দরপতনের প্রতিবাদে দিনের পর দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করায় ২৭ আগস্ট ডিএসইর পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর বন্ধ হয়ে যায় বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ। এর মধ্যেই শেয়ারবাজারে চলতে থাকে দরপতন। সম্প্রতি তা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। শেষ ৮ কার্যদিবসের ৭ দিনই বড় পতন হয়েছে। গত ৭ দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৪০০ পয়েন্টের ওপর। এর মধ্যে মঙ্গলবার কমেছে ৮৭ পয়েন্ট। সূচকের এই বড় পতনের প্রতিবাদে লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। আধা ঘণ্টা চলে এ বিক্ষোভ। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ডিএসইএক্স ও ডিএস-৩০ সূচক চালু হয়। ওই সময় ডিএসইএক্স সূচকের ভিত্তি পয়েন্ট ছিল ৪ হাজার ৫৫ পয়েন্ট। আর ডিএস ৩০ ছিল ১ হাজার ৪৬০ পয়েন্ট। সোমবার লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি ৮৮ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ৫৬ মাস আগের অবস্থানে। তবে সূচক প্রায় ৫ বছরের কম হলেও অধিকাংশ শেয়ারের দাম ৯ বছর আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। সোমবার লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান দাঁড়ায় ৪ হাজার ১২৩ পয়েন্ট। মঙ্গলবার আবারও ৮৭ পয়েন্ট কমে। গত এক বছরের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকা। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ১৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার তা নেমে এসেছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকায়। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাই পতনের মূল কারণ। সরকারের নানা আশ্বাসেও ভরসা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজার ভালো হবে, হচ্ছে এমন প্রতিশ্রুতি শুনে বিনিয়োগকারীরা বাজারে বিনিয়োগ করে এখন প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, শেয়ারবাজারের সংকট একদিনের নয়। অনেক দিন থেকে চলে আসছে। তিনি বলেন, যে যেভাবেই বিশ্লেষণ করুক, মূল সমস্যা হল এই বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। কারণ বিভিন্ন সময়ে যারা বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাদের বিচার হয়নি। ফলে আস্থা ফিরে আনতে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ অনিয়মের সঙ্গে জড়িতরা যত শক্তিশালী হোক এবং যে পদেই থাকুক তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের নিশ্চয়তা দিতে হবে, কারসাজির মাধ্যমে কেউ তার পুঁজি হাতিয়ে নিলে তার বিচার হয়। এছাড়া দুর্বল তালিকাভুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ডিএসইতে এদিন মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। সোমাবার মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ২৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ২৯৩টির ও অপরিবর্তিত আছে ৩০টির। ডিএসইতে এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হল লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, বিকন ফার্মা, এডিএন টেলিকম লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস লিমিটেড ও গ্রামীণফোন। অপরদিকে সিএসইতে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ২১টির, কমেছে ২০৩টির এবং দর অপরিবর্তিত আছে ২০টির।
ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে দেশের শেয়ারবাজার। প্রতিদিনই বড় দরপতন হচ্ছে। সোম ও মঙ্গলবারের অস্বাভাবিক পতনে শেয়ারবাজার রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অস্ত্র, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়। এদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির জন্য ৬৩ এবং অস্ত্র, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৪ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জনকে সাময়িক এবং ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় দু’জনকে ছয় মাস করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের (ডিবি) এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। সাধারণত শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তই সিন্ডিকেট অনুমোদন দিয়ে থাকে। এ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাময়িক বহিষ্কৃত ১৩ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হবে। এরপর তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সিন্ডিকেট। এর বাইরে ডিবি (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড) উপকমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক সাজা দেয়া হয়েছে। বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জালিয়াতদের আমরা ছাড় দেব না। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার প্রশ্ন। কিছুদিন আগে অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের চার শিক্ষার্থীকে হল প্রশাসন আজীবন বহিষ্কার করে এবং অধিকতর শাস্তির সুপারিশ করে ডিবিতে পাঠায়। তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ওই ৮৭ জনের মধ্যে ১৫ জনকে আগেই আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। জালিয়াতির ঘটনায় এ নিয়ে ৭৮ জন শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কৃত হল। প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, গত বছরের অক্টোবরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মারধরের শিকার হয়েছিলেন বলে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলাম। ওই ঘটনায় দু’জনকে ছয় মাস করে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত বছরের ৮ অক্টোবর রাতে মহসীন হলের ১২১ নম্বর কক্ষ থেকে পিস্তল, বঁটি, সিসি ক্যামেরা, হাতুড়ি, লাঠিসহ আটক করা হয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে। অন্য দুই নেতা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির ক্রীড়াবিষয়ক উপসম্পাদক হাসিবুর রহমান তুষার, দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের (২০১৫-১৬) ছাত্র ও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী অর্থবিষয়ক উপসম্পাদক আবু বকর আলিফ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপসম্পাদক মো. ইফতেখার ইসলাম তুষার এবং বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ইমরান হোসেন (ইমরান ফরহাদ ইমু)। প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। যা এর আগে কেউ করতে পারেনি। এখানে যাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে তারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অপরাধীর স্থান হতে পারে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অস্ত্র, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি চান দুদক কর্মকর্তারাও
উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিবদের মতো সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ঋণে গাড়ি সুবিধা চান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারাও। পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট নীতিমালার আওতাভুক্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে দুদক। জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে- এটি কার্যকর হলে প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই বিষয়টি বিবেচনা করার অবকাশ নেই। অন্যদিকে সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি সুবিধা দেয়ার দাবি তুলেছে পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তারাও। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। ১২ ডিসেম্বর দুদক থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয়- ‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের গাড়ি সেবা নগদায়নের সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও এই সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকারী মহাব্যবস্থাপক এবং তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদেরও গাড়ি ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর তফসিল-১ অনুযায়ী দুদকের পরিচালকের পদটি উপসচিব সমমর্যাদার হওয়ায় তারা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য মর্মে কমিশন মনে করে। দুদকের বর্তমান জনবল কাঠামো অনুযায়ী পরিচালকের পদ মোট ৩৭টি। এর মধ্যে ২২ জনই দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তা। বাকিরা প্রশাসন ক্যাডার ও অন্যান্য সংস্থা থেকে প্রেষণে এসেছেন। এমতাবস্থায় দুদকের পরিচালক পদটিকে এই নীতিমালার আওতায় আনার অনুরোধ জানানো হয়। দুদকের এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে ২৩ ডিসেম্বর চিঠির জবাব দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অর্থ ‘সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব’ উল্লেখ করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে সরকারের বিভিন্ন পদনাম ও পদবি বিষয়ে সুস্পস্ট নির্দেশনা রয়েছে। এক্ষেত্রে উপসচিব পদমর্যাদাসম্পন্ন কোনো পদের উল্লেখ নেই। দুদকের প্রস্তাব নাকচ করে চিঠিতে বলা হয়, দুদকের নিজস্ব পরিচালকদের এই নীতিমালার আওতাভুক্ত করা হলে অন্যান্য সংস্থায় কর্মরত একই পদমর্যাদার অসংখ্য কর্মকর্তা এর অধীনে আসার দাবি জানাবেন। এতে সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি সেবা নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও আর্থিক জটিলতার সৃষ্টি হবে এবং সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। তবে চিঠিতে দুদক উল্লেখিত সরকারের অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত গাড়ি সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতেও রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব ছাড়াও সুদমুক্ত গাড়ি সুবিধা একাধিক সংস্থার সমমর্যাদার কর্মকর্তারা পাচ্ছেন। যা দুদকের চিঠিতে সুস্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু দুদকের কর্মকর্তাদের কেন দেয়া হবে না তা তাদের জানা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন পরিচালক যুগান্তরকে বলেন, দুদককে শক্তিশালী করতে চাইলে প্রথমেই দুদকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের অন্যান্য সংস্থার তুলনায় দুদক স্টাফদের অভাব-অনটন বেশি থাকলে দুর্নীতি ধরবে কিভাবে? বরং বৈষম্যের শিকার হলে তারা নিজেরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। দুদকের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তিনি আরও বলেন, বড় বড় দুর্নীতিবাজের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও তাদেরই কোনো ঝুঁকিভাতা নেই। তদন্ত কর্মকর্তারা অফিসিয়াল গাড়িতে যাতায়াত করলেও তাদের সার্বক্ষণিক কোনো গাড়ি সুবিধা নেই। দুদকের মতো সুদমুক্ত গাড়ি সুবিধা দেয়ার দাবি তুলেছে পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তারাও। চলতি মাসের প্রথমদিকে পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে সরকারের উপসচিবদের মতো পুলিশ কর্মকর্তাদেরও (এসপি পদমর্যাদা) সুদমুক্ত গাড়ি কেনার ঋণ দাবি করেছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী পুলিশ সুপার থেকে ওপরের পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ গাড়ি সুবিধার আওতায় থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। দাবিতে তারা বলেন, এর আগের অর্থমন্ত্রী পুলিশ ক্যাডারকে এই সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারের উপসচিব থেকে শুরু করে তারও উচ্চ পদে গাড়ি কেনার জন্য সরকার এককালীন ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার সুবিধা দিয়ে আসছে। ‘বিশেষ অগ্রিম’ নামের এই ঋণের বিপরীতে তাদের কোনো সুদ পরিশোধ করতে হবে না। আবার সেই টাকা দিয়ে কেনা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি খরচ ও চালকের বেতন বাবদ সরকার মাসে আরও ৫০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে।
উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিবদের মতো সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ঋণে গাড়ি সুবিধা চান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারাও।
হুমকি মারধর প্রচারে বাধা
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানো, কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা। রয়েছে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রঙিন পোস্টার ও ফেস্টুন ছাপানো, যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ সাধারণ অভিযোগও। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দফতরে এ ধরনের লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রায় অর্ধশত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী। অভিযোগকারীদের বেশির ভাগই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। এছাড়া জাতীয় পার্টির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কয়েকজন বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীও রয়েছেন। দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। জানা গেছে, ভোটের তারিখ যত ঘনিয়ে আসছে অভিযোগের সংখ্যাও বাড়ছে। বেশি অভিযোগ জমা পড়ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে দায়িত্ব দিচ্ছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। অনেক অভিযোগের কোনো সত্যতাও পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচন কমিশন নিজ থেকে তদন্ত করছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না থাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা দেখলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। আর মাঠে থাকা ৪৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতিদিন কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন তার পুরো রিপোর্ট দিচ্ছেন না। ফলে মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি পুরোপুরি জানতে পারছেন না তারা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম যুগান্তরকে বলেন, কিছু কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। সব অভিযোগই তদন্ত করতে ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনেক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতিদিনের কার্যক্রমের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিতে শুরু করেছে। তাদের নিয়ে আবারও বসব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন যুগান্তরকে বলেন, আমি কিছু অভিযোগ পাচ্ছি এক প্রার্থীর সমর্থকরা আরেক প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। সত্যি এটা দুঃখজনক ঘটনা। আমার কাছে যেসব অভিযোগ জমা পড়ছে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দিচ্ছি। তারাই ব্যবস্থা নিয়ে আমাকে জানাবেন। ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত রিপোর্ট দিচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তো দিচ্ছে বা দেবে। এই মুহূর্তেই আমি সেটি সঠিকভাবে বলতে পারব না। খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।   নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চলছে। যেমন যান চলাচল বন্ধ করে সড়কে মিছিল-মিটিং, নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি নির্বাচনী ক্যাম্পে স্থাপন, রঙিন পোস্টার ও ফেস্টুন, পোস্টারে প্রার্থী ও দলীয় প্রধান ছাড়াও অন্যদের ছবি থাকার অভিযোগ পাচ্ছি। অনেক প্রার্থীকে ডেকে সাবধান করা হচ্ছে, আবার অনেককে শোকজ করা হয়েছে। তারা বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটরা দৃশ্যমান কার্যক্রম চালালে প্রার্থী ও সমর্থকরা আচরণবিধি মেনে চলতে বাধ্য হতো। দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণা থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত অভিযোগ জমা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করেছেন বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের একটি অভিযোগের সত্যতা পাননি ম্যাজিস্ট্রেট। বাকিগুলো খতিয়ে দেখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের চিঠি দেয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়কারী ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার পরিচালককে চিঠি দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়া এ সিটিতে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আনেন বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ। তিনি গণসংযোগে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে নিরাপত্তা চান। ঢাকা দক্ষিণ সিটি : জানা গেছে, ঢাকা উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ সিটিতে বেশি অভিযোগ জমা পড়ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দু’শ থেকে তিনশ’ লোকজন নিয়ে নিজের ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া। এতে তিনি উল্লেখ করেন, শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি মিটিং থেকে ডেকে নিয়ে আমার ও আমার ছেলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং কিলঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে স্কুলে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষের লোকজন স্কুল ঘিরে ফেলে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার ছেলে মিফতাহুল ইসলামকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা সিসি ক্যামেরার ফুটেজের কিছু স্থির ছবিও অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন এই প্রার্থী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, আমার ওপর হামলার সময় কয়েকজনের কাছে অস্ত্র ছিল। তারা গুলি করতে চেয়েছে। আমি অভিযোগ দায়ের করার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে শোকজ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। খিলগাঁও থানার ওসি নিজে এসে তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছেন। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আবদুস সাহেদ মন্টু প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থীর ছেলে ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে হুমকি দেয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। বিএনপির এ নেতা তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থীর ছেলে ও ভাইয়ের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা ৪-৫ জন মুসল্লিকে গালাগাল করেন। এবং বলে যান, উপরের নির্দেশ আছে নির্বাচনের কোনো কার্যক্রম চালাতে পারব না। অভিযোগে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে প্রশাসনিক সহযোগিতা চান এ প্রার্থী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় পার্টি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানোর অভিযোগ আনেন। অভিযোগে তিনজন প্রার্থীর কোথায় কোথায় রঙিন পোস্টার রয়েছে সেই স্থানের নাম উল্লেখ করে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন।  আরও জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী তার বাড়ির সামনের রাস্তা দখল করে ক্যাম্প স্থাপনের অভিযোগ আনেন প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ভোটকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত দক্ষিণ মুসন্দি গার্লস হাইস্কুলের মধ্যে ক্যাম্প স্থাপনের অভিযোগ করেন। যদিও ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দোষ স্বীকার করেছেন সংরক্ষিত-১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শেফালী রানী মল্লিক। তার বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বড় বড় ফেস্টুন সাঁটানোর অভিযোগ করেন মো. আল-আমিন নামের একজন ব্যক্তি। ওই ঘটনায় শোকজ করা হলে শেফালী আক্তার সব পোস্টার অপসারণ করে আইন মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। একইভাবে আরও অনেক প্রার্থী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। ঢাকা উত্তর সিটি : ঢাকা দক্ষিণ সিটির তুলনায় উত্তর সিটিতে প্রার্থীদের অভিযোগের সংখ্যা কম। উত্তর সিটির ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জাইদুল ইসলাম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সন্ধ্যায় প্রচারের সময় মাইক ও প্রচারকারীকে মারধর করা হয়। তিনি নিজের ওপর হামলার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। ঢাকা উত্তর সিটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, সোমবার রাতে গাবতলী থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত একজন মেয়র ও কাউন্সিলর ছাড়া বাকিদের সব পোস্টার কে বা কারা ছিঁড়ে ফেলেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এর প্রতিকার চেয়েছেন তিনি। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে বলেন, গত ১১ জানুয়ারি বারিধারার জে-ব্লকে পানির পাম্প সংলগ্ন এলাকায় প্রচারের সময়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী-সমর্থক আমার ও আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। পাশাপাশি আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। অভিযোগে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও সুষ্ঠুভাবে প্রচার চালানোর সুযোগ চান তিনি। এছাড়া আরও কয়েকজন প্রার্থী তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের রিপোর্ট পান না দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা : জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার একদিন পরই ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা দুই সিটিতে নামেন ৪৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইতিমধ্যে দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা স্ব স্ব ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ম্যাজিস্ট্রেটরা কোথায় কোথায় পরিদর্শন করেছেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল কিনা, এর পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা একীভূত করে রিপোর্ট আকারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর কথা। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের পূর্ণাঙ্গ এমন রিপোর্ট পাননি দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট রিপোর্ট দেন বলে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়কারী ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার পরিচালক ইদ্রিস সিদ্দিকী যুগান্তরকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট সমন্বয় করছেন জেলা প্রশাসক। হয়তো তার কাছেই রিপোর্ট করছে। আমার কাছে রিপোর্ট আসেনি। তবে কোথাও আচরণবিধির বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তা দেখব।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানো, কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা।
পৃথিবীতে ‘প্রাচীনতম উপাদানের’ সন্ধান
পৃথিবীতে পাওয়া প্রাচীনতম উপাদান আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৬৯ সালে পড়া মুরচিসন উল্কার একটি অংশে থাকা ৪০টি ‘সৌর পূর্ব কণা’ বিশ্লেষণ করে এ ‘প্রাচীনতম উপাদানের’ খোঁজ পেয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাশূন্য থেকে আসা ওই পাথরের মধ্যে যে ধূলিকণার খোঁজ মিলেছে, তা সাড়ে সাতশ’ কোটি বছরেরও পুরনো। তারকামণ্ডলীতে তৈরি হওয়া সবচেয়ে পুরনো এ ধূলিকণা আমাদের সৌরজগতের জন্মেরও আগে সৃষ্টি হয়েছিল। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের জার্নাল প্রসিডিংয়ে বিজ্ঞানীদের এ আবিষ্কারের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি। গবেষক দলের প্রধান শিকাগোর ফিল্ড জাদুঘরের কিউরেটর ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফিলিপ হেক বলছেন, সাধারণত তারা বা নক্ষত্রের মৃত্যুর পর তাদের ভেতরকার কণাগুলো মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ‘সৌর পূর্ব কণা’রা এরপর নতুন নক্ষত্র, গ্রহ, চাঁদ বা উল্কায় সংযুক্ত হয়। এগুলো নক্ষত্রের অকাট্য নমুনা, সত্যিকারের স্টারডাস্ট। গবেষক দলের অন্যতম শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনিকা গ্রিল জানাচ্ছেন, উল্কার চূর্ণ-বিচূর্ণ অংশ থেকে এ গবেষণা শুরু হয়। যখন সব অংশকে আলাদা করা হয় তখন একটা পেস্টের মতো পাওয়া যায়। যার একটা তীব্র বৈশিষ্ট্য মিলে যায় পচা বাদামের মাখনের গন্ধের সঙ্গে। ওই পেস্টকে পরে অম্লে দ্রবীভূত করার পরই মেলে ধূলিকণাটুকু। ফিলিপ হেক বলছেন, বিষয়টি অনেকটা সুচ খুঁজতে গিয়ে খড়ের গাদা পুড়িয়ে ফেলার মতো ব্যাপার।
পৃথিবীতে পাওয়া প্রাচীনতম উপাদান আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী।
কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ মোছলেমের বড় চ্যালেঞ্জ
১৯৭৩ সালের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) সংসদীয় আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। সোমবারের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ। দীর্ঘ প্রায় ৪৮ বছর পর এ আসনে আওয়ামী লীগের জয়ে আশার সঞ্চার হয়েছে দলটির সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে। এ জয়কে মোছলেমের রাজনৈতিক জীবনের একটি বড় প্রাপ্তি মন্তব্য করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ। নির্বাচনী ইশতেহারেও তিনি কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণকে প্রথম ও প্রধান এজেন্ডা হিসেবে রেখেছিলেন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সোমবার রাতেও মোছলেম উদ্দিন বলেন, এক বছরের মধ্যেই কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এ সেতু নির্মাণ করে বোয়ালখালীবাসীর দুঃখ ঘুচানোর ঘোষণা দেন তিনি। এ আসনটিতে ১৯৭৩ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কফিল উদ্দিন। এরপর আওয়ামী লীগের আর কোনো এমপি ছিলেন না। ১৯৯১ সালে এ আসন থেকে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির এম মোরশেদ খান জয়লাভ করেন। কিন্তু শহর ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত এ আসনটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে খুব কমই। ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন দফায় নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন জাসদের মইনউদ্দীন খান বাদল। কিন্তু বিভিন্ন সময় এ আসনে উন্নয়ন বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছিলেন তার দলের নেতাকর্মীরা। যদিও দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও শহরের যোগাযোগ রক্ষায় কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত শত বছরের পুরনো চলাচল অনুপযোগী কালুরঘাট সেতুর পাশেই আরেকটি রেল কাম-সড়ক সেতু নির্মাণের দাবিতে ১০ বছর ধরেই সোচ্চার ছিলেন বাদল। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারকে তিন মাসের আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের ঘোষণা না এলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করব। এছাড়া যুগান্তরের কাছে বাদল বলেছিলেন, কালুরঘাট সেতুর জন্য যদি আওয়ামী লীগে যোগ দিতে হয় তাহলে সেটিও করব। এরপরও বোয়ালখালীবাসীর দুঃখ ঘোচাতে চাই। কিন্তু তার আগেই মইনউদ্দীন খান বাদল গত বছরের ৭ নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়রা বলছেন, উপনির্বাচনে জয়লাভ করা মোছলেম উদ্দিনের ওপরই এখন পড়েছে কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণসহ বোয়ালখালীবাসীর দুঃখ ঘোচানোর ভার। এ দায়িত্ব তিনি কতটুকু পালন করতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। এ বিষয়ে সানোয়ারা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তার জয়ে সবাই খুশি। তিনি বলেন, দলীয় এমপি না থাকায় এতদিন এ আসনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির ছিল। সুবিধাভোগীরা সুযোগ-সুবিধা লুটে নিয়েছে। নবনির্বাচিত মোছলেম উদ্দিন সাংগঠনিকভাবে দলকে গুছিয়ে আরও শক্তিশালী করবেন। সুবিধাভোগী হাইব্রিডদের বর্জন করবেন। এলাকার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন করবেন। কালুরঘাট সেতু যাতে নির্মাণ হয় সেজন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হিসেবে তার পক্ষে এটা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সুফিয়ান যুগান্তরকে বলেন, মোছলেম উদ্দিন আহমদ একজন মুক্তিযোদ্ধা। আজীবন সংগ্রামী একজন নেতা। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অনেক উজ্জ্বল। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ নেতাকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে যে মূল্যায়ন করেছে, তিনি তার প্রতিদান দিতে পারবেন। এলাকার উন্নয়নে রাখতে পারবেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। এদিকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে মাত্র ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ নিয়ে নানা সমালোচনা আছে। বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন। তবে মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, পরাজিত হয়ে বিএনপি প্রার্থী অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ভোটের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতি আস্থা রেখেছে। ইভিএম নতুন পদ্ধতি হওয়ায় এবং উপনির্বাচনের কারণে মানুষের আগ্রহ কম থাকার কারণে ভোট কম পড়েছে বলেও মনে করছেন তিনি।
১৯৭৩ সালের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) সংসদীয় আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
কায়সারের মৃত্যুদণ্ড আপিলেও বহাল
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল আছে। আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্তের ফলে মুসলিম লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ফাঁসিকাষ্ঠেই যেতে হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার রায়ের সংক্ষিপ্তসার জানিয়ে দেন। কায়সারের আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হলেও দুটি অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এবং একটি অভিযোগে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সর্বোচ্চ সাজা বহাল রাখা হয়। এই বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর আপিলে আসা এটি নবম মামলা। আপিলের রায়ে তিনটি অভিযোগে কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তিনটি অভিযোগে তার প্রাণদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। একটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আপিল বিভাগ তাকে খালাস দিয়েছে। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আইনজীবী এসএম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের অনুলিপি পেলে ভালো মতো দেখে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা হবে। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ে আমাদের দেশে ধর্ষণে সহযোগিতা করার দায়ে প্রথম কোনো আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল। ওই অভিযোগের যে ভিকটিম, তিনি নিজে কোর্টে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তার মেয়েও আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন দুর্দশার কথা। এই ১২ নম্বর অভিযোগটিতে চার বিচারপতিই একমত হয়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। আর ৫ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। জানা গেছে, একাত্তরের মুসলিম লীগ নেতা কায়সার ছিলেন পাকিস্তানি বাহিনীর একজন বিশ্বস্ত সহযোগী। ‘কায়সার বাহিনী’ নামে দল গড়ে তিনি যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের মানুষ তাকে একজন কুখ্যাত ব্যক্তি হিসেবেই চেনে। নিয়ম অনুযায়ী আসামি এই রায় পর্যালোচনার আবেদন করতে পারবেন। তাতে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত না বদলালে আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। তাতেও বিফল হলে সরকার সাজা কার্যকরের পদক্ষেপ নেবে। খুশি নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার : চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সৈয়দ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায়ে চুনারুঘাটের শহীদ পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা ও ধর্ষিতার পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন। বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পাওয়া চা শ্রমিক হীরামনির সন্তান সজনী সাঁওতাল ও সহজনি সাঁওতালকে মঙ্গলবার এ খবর জানানো হলে তারা শুধুই হেসেছেন। বলেছেন- ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। মামলার সাক্ষী আবদুল মোতালিব ও হীরামনি কায়সারের ফাঁসি দেখে যেতে পারেননি বলে মুক্তিযোদ্ধারা আক্ষেপ করেন। সাক্ষী নরপতি গ্রামের আনাই উল্লাহ ও আম্বিয়া খাতুন তাদের বাবাকে হত্যার কথা জানিয়ে দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। সাবেক উপজেলা কমান্ডার আবদুস সামাদ বলেন, তার ফাঁসি বহাল রাখার দাবিতে সোমবারও মানববন্ধন করেছি। মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশীদ দ্রুত এ রায় কার্যকর করার দাবি জানান। চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের বলেন, সৈয়দ কায়সারের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে কলঙ্কমুক্ত হবে চুনারুঘাট মাধবপুরবাসী।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল আছে।
উত্তরে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দক্ষিণে বৈঠক আজ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। এই সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীদের নিজ প্রচারে নিষ্ক্রিয় হয়ে দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ডেকে নিয়ে এই নির্দেশনার কথা জানান দলটি। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসএম কামাল হোসেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের নিয়ে আমরা বসেছিলাম। আমরা বলেছি দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে। অনেকে রাজিও হয়েছেন। অনেকে ভাবার জন্য আবার কিছু সময় চেয়েছেন। এসএম মান্নান কচি যুগান্তরকে বলেন, বৈঠকে আমরা সবাইকে (বিদ্রোহীদের) দুই দিনের সময় দিয়েছি। এর মধ্যে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে হবে এবং আমাদের দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ শুরু করতে হবে। যদি না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদেও অনেক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েই গেছে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৈঠক ডাকা হয়েছে। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকার কথা। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে বলেন, কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয় নিয়ে আমরা বুধবার বসব। সেখানেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে দফায় দফায় বৈঠক করে সব ওয়ার্ডে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। কোনো কোনো ওয়ার্ডে দল সমর্থিত প্রার্থীর বাইরে একাধিক নেতা ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে ৮ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বসে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ৯ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে পেরিয়ে গেলেও এখনও রয়েই গেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। এই সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীদের নিজ প্রচারে নিষ্ক্রিয় হয়ে দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিটি নির্বাচনের দায়িত্বে আ’লীগ সমর্থিতরা: মির্জা ফখরুলের অভিযোগ
ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত কর্মকর্তাদেরই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সিটি নির্বাচনে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানি। কে গাড়ির অনুমোদন নেয়ার জন্য ফাইল বদল নিয়ে মন্ত্রীর কাছে গেছেন, কারা নিজের স্কুলের পারমিশন নেয়ার জন্য সরকারি জমি নিয়েছেন- এসব খবর আমাদের কাছে আছে। এসব মানুষ যাদের কোনো মরালিটি নেই তাদেরই নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদেরকে দিয়েই আবার ইভিএম মেশিন ম্যানুপুলেটেড করার ষড়যন্ত্র করছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল’-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিগত আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে গুম, খুন, পঙ্গু হওয়া নেতা-কর্মীর পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে গুম হওয়া ১০ পরিবারের সদস্যদের হাতে শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়। ফখরুল বলেন, ইভিএমে মানুষের রায়ের প্রতিফলন হবে না। আমরা এখনও এর বিরোধিতা করছি। তিনি বলেন, সোমবার চট্টগ্রামে উপনির্বাচন হয়েছে। সেখানে ভোটারদের কেন্দ্রেই যেতে দেয়া হয়নি। তার আগে বোমা মেরে লাঠিসোটা দিয়ে ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরে জিজ্ঞাসা করেন বলবে যে, আপনারা পারেননি। পারব কোত্থেকে? এটাই বাস্তবতা। যারা ভোটার তারা তো মারামারি করে না। তারা তাদের অধিকারটা প্রয়োগ করতে যায়। সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলছে। তারপরও বলি, হতাশ হবেন না, ছেড়ে দেবেন না। যত কষ্ট আসুক, যত যন্ত্রণা আসুক, যত অত্যাচার-লাঞ্ছনা আসুক এদেশের মানুষ বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে। তরুণরা উঠে দাঁড়িয়েছে, দাঁড়াবে, দাঁড়াচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৮ সালের পরে তারা একইভাবে শুধু খোলসটা পাল্টিয়ে দিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সংবিধান সংশোধন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে দিয়েছে। তারা শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্র ব্যবহার করছে। এর মধ্যে যারা প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন, রাজপথে নেমে এসেছিলেন তারা আজকে অনেকে আমাদের মাঝে নেই। তাদের খোঁজ নেই, গুম হয়ে গেছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে বা জেলে নেয়া হয়েছে। গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের ছোট ছোট সন্তানের দিকে তাকিয়ে তিনি আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বলেন, আজকে শিশুরা এখানে আছে। ওরা প্রতিমুহূর্তেভাবে, তার বাবা ফিরে আসবে, আসে না। মা আছেন ভাবেন যে, এই বোধহয় ছেলে দরজা নক করল, আসে না। স্ত্রী অপেক্ষা করে থাকে কখন তার প্রিয় মানুষটা পাশে আসবে। আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শফিউল বারী বাবু, মামুন হাসান, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, হেল্প সেলের নাসির উদ্দিন শাওন প্রমুখ।
ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত কর্মকর্তাদেরই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘টাক মিলন’কে রিমান্ডে চায় যশোর পুলিশ
যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ব্যাপক সমালোচিত জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক মিলন’কে ৭ দিনের রিমান্ড চাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত রোববার শুনানির দিন ঠিক করে তাকে জেলে পাঠায়। পলাশবাড়ীর ত্রাস ও চাঁদাবাজ ‘টাক মিলনের’ বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসা করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সপরিবারে বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় শাহজালাল বিমানবন্দন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘদিন তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে মিলনকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত রোববার শুনানির দিন ধার্য করে তাকে জেলে পাঠায়। ১২ জানুয়ারি দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার যশোর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। যশোর পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জাহিদের বিরুদ্ধে ৩টি পরোয়ানা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধের তথ্য ছিল পুলিশ সদর দফতরে। তিনি দুবাই থাকলেও প্রায়ই দেশে আসা-যাওয়ার তথ্য ছিল পুলিশের কাছে। রোববার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে ফেরার পথে ইমিগ্রেশন পুলিশ মিলনকে গ্রেফতার করে আমাদের হাতে তুলে দেয়। সোমবার ডিবি পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, ‘টাক মিলন’ যশোর শহরের পালবাড়ী এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে পরিবহন থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। পালবাড়ির রয়েল কমিউনিটি সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো (জুয়া) ব্যবসা চালাচ্ছিলেন তিনি। সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী ও শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে গা ঢাকা দেন তিনি। রোববার স্ত্রী ও সন্তানসহ মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রী ও সন্তানকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে টাক মিলনের নাম এসেছে এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে। এই মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি তিনি। এ ছাড়াও ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলায় জড়িত টাক মিলন। তার নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয় বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এই দুটি মামলায় আদালতে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।
যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ব্যাপক সমালোচিত জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক মিলন’কে ৭ দিনের রিমান্ড চাচ্ছে পুলিশ।
নাগরিকত্ব আইন চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে কেরালা
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গেল কেরালা। আদালতে দাখিল করা পিটিশনে কেরালা সরকার বলেছে, সিএএ ভারতীয় সংবিধানের সমঅধিকারের ঘোষণাসহ বেশ কয়েকটি আর্টিকেল লঙ্ঘন করেছে। ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে প্রতিবাদ চলার মধ্যে এই প্রথম দেশটির একটি রাজ্য আইনটিকে চ্যালেঞ্জ জানাল। ইতিমধ্যে এই আইনটির বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি পিটিশনের শুনানি চলছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে। খবর এনডিটিভির। আইনটি ভারতীয় সংবিধানের মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতারও বিরোধী বলে অভিযোগ করেছে রাজ্যটি। কেরালা সরকার ২০১৫ সালে পাসপোর্ট আইন ও ফরেনার্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডারে আনা পরিবর্তনগুলোর বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করেছে। এ আইন দুটিতে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে ২০১৫ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিমদের সেখানে অবস্থানের বৈধতা দেয়া হয়েছে। নতুন নাগরিকত্ব আইন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিমদের ভারতের নাগরিক হওয়ার পথ সহজ করেছে। সিএএ ও প্রস্তাবিত নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করতে ব্যবহৃত হবে বলে শঙ্কা সমালোচকদের। সর্বোচ্চ আদালতে করা পিটিশনে কেরালা দাবি করেছে, সিএএ ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ২১ ও ২৫ ধারা লঙ্ঘন করেছে। নাগরিকত্ব আইনের বাস্তবায়ন বন্ধ করতে নাগরিক পঞ্জি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিজেপিবিরোধী সরকার।
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গেল কেরালা।
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের দাবি: অ্যাটর্নি জেনারেল যা বললেন
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, কারও অনেক দিন সাজা খাটা হলে তার জন্য সরকার বিশেষ বিবেচনা করতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে দেশ বা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি বিএনপি নেতার দাবির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন। মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যদি প্রমাণ করতে পারেন (মেইক আউট), তবে সে ব্যাপারে সরকার দেখবে। ৯ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্ট বারে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে দেশ বা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সাধারণত সাজা সাসপেন্ড করা হয় অনেক দিন সাজা খাটার পর। সরকার বিশেষ বিবেচনায় এটা করে, করতে পারে। সে রকম কেস যদি তারা মেইক আউট করতে পারে, সেটা সরকারের ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, জেলখানায় যারা থাকেন এবং বহুদিন কারাভোগ করেন ৪০১ অনুযায়ী তাদের নানাবিধ বিবেচনায় রিমিশন দেয়া হয় এবং অনেক সময় স্থগিতও করা হয়। কিন্তু তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন কেস মেইক আউট করতে পারেন সে ব্যাপারে সরকার দেখবে। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলায় সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি দুই বছর কারাগারে আছেন। তাই আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ছাড়াও একজন বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি হিসেবে খালেদা জিয়া দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী জামিন পাওয়ার যোগ্য। ‘কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ মামলায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দেশের বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’ খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে তার বর্তমান অবস্থায় অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের নেত্রীরা নিজেদের চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে বিদেশে যান অথচ তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজ ব্যয়ে তার পছন্দ মতো সুচিকিৎসার জন্য সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।’ দলীয় নেত্রীর মুক্তির বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা মোতাবেক কোনো সাজার কার্যকারিতা শর্তহীনভাবে স্থগিত করার একমাত্র ক্ষমতা সরকারের হাতে। আমরা আশা করি সরকার প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে আইনগতভাবে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা।  ‘তাই আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী স্থগিত করে তার ইচ্ছামতো চিকিৎসা নিতে দেশ-বিদেশে সুযোগ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, কারও অনেক দিন সাজা খাটা হলে তার জন্য সরকার বিশেষ বিবেচনা করতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে দেশ বা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি বিএনপি নেতার দাবির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।
রিট খারিজ, দুই সিটিতে নির্বাচন ৩০ জানুয়ারিই
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারিই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে। আদালত আদেশে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। সুপ্রিমকোর্টের ক্যালেন্ডারেও ২৯ তারিখ ছুটির কথা বলা আছে। আর নির্বাচন কমিশন ৩০ তারিখ ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। তার একদিন পর (১ ফেব্র“য়ারি) এসএসসি পরীক্ষা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই, তাই আবেদনটি সরাসরি খারিজ করা হল। রিটকারী আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, এই আদেশে আমরা সংক্ষুব্ধ। আমরা আপিল বিভাগে যাব। ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা রয়েছে জানিয়ে ৫ জানুয়ারি আদালতে এ রিট করেছিলেন আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। তিনি ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত মঙ্গলবার রিটের পক্ষে শুনানি করেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তৌহিদুল ইসলাম, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুরউস সাদিক। আদেশের জন্য থাকলেও মঙ্গলবার আইনজীবী অশোক কুমার একটি সম্পূরক আবেদন করেন। তিনি শুনানিতে পূজা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ে শোনান। আদালতকে বলেন, ভোটের কেন্দ্র স্কুল-কলেজে হয়। সরস্বতী পূজাও হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয়। এ কারণে একইদিনে ভোট ও পূজা হলে সাধারণ মানুষের পূজা উদযাপন বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। এছাড়া সংবিধানের ৮, ১২, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিককে ধর্ম পালনের যে মৌলিক অধিকার দেয়া হয়েছে, নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ সংবিধানের এ অনুচ্ছেদগুলোর সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’। অশোক কুমার বলেন, পঞ্চমী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন দেয়া যায় না। তাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ফেব্র“য়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নেয়া যায়। রানা দাশগুপ্ত আদালতে জানান, সরস্বতী পূজার তিথি ২৯ জানুয়ারি ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টা পর্যন্ত। এ সময়ে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা ঠিক হবে না। নুরউস সাদিক ও নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির যে ক্যালেন্ডার আছে, সেখানে সরস্বতী পূজার ছুটি ২৯ জানুয়ারি বলা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের ক্যালেন্ডারেও একই কথা বলা হয়েছে। ছুটির তালিকা দেখেই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন আর ভোটের তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। কেননা ২ ফেব্র“য়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা আর ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা যদি সাংঘর্ষিক হয়, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রকল্পের টাকায় দু’দফায় ১৪ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ
১০ বছরে লাখ লাখ টাকা খরচ হলেও প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। সাত বছর আগে মন্ত্রণালয়ের পাঁচ কর্মকর্তাসহ ১৪ কর্মকর্তা দুই দফায় বিদেশ সফর করেন। বছর বছর কর্মকর্তাদের গাড়ির পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। রাজশাহীর ‘প্রান্তিক আবাসিক প্রকল্পে’ এমন তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। তবে আশার কথা- প্রকল্পটির কাজ আবার শুরু হয়েছে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে আনওয়ার হোসেন (অতিরিক্ত সচিব) যোগদানের পর প্রকল্পটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রকল্পটি বেহাল দেখে তিনি বিস্মিত হন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেন। তার চেষ্টায় নতুন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরে প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীর গোয়ালপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় ‘প্রান্তিক আবাসিক প্রকল্প’ বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রকল্পটির ব্যয় ৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ধরা হয়। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা ছিল। প্রায় ২০ একর আয়তনের প্রকল্পটিতে ২৪৫টি প্লট হওয়ার কথা। বর্তমানে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে ৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শুরুতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। এরপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়। পর্যায়ক্রমে ২০১৭ সালের ৩০ জুন ও ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর থেকে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংশোধিত প্রকল্প এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রহমানের নিকটাত্মীয়ের বেশকিছু জমি পড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চরম অনীহা শুরু হয়। এরপর দুই বছরে প্রকল্পটি নিয়ে আর কোনো নড়াচড়া হয়নি। ৬ অক্টোবর অতিরিক্ত সচিব আনওয়ার হোসেন আরডিএ’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। ৫ জানুয়ারি আরডিএ’র সমন্বয় সভায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজশাহীর জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে আরডিএ কর্তৃপক্ষ। আরডিএ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিযোগ, আরডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রহমানের নজিরবিহীন অবহেলা ও গাফিলতির কারণে আবাসিক প্রকল্পটির এই হাল হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটানা পাঁচ বছর চেয়ারম্যানের পদ তিনি আঁকড়ে পড়েছিলেন। সরকারি প্লট নেয়াসহ হাজারও সুবিধা লুটেছেন তিনি। আরও দুই বছর চেয়ারম্যান থাকার জন্য মরিয়া হয়ে তদবির করেছিলেন; কিন্তু গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী স ম রেজাউল করিমের কঠোর অবস্থানের কারণে আরডিএ’র চেয়ারম্যান পদ বজলুরকে ছাড়তে হয়। প্রকল্পটির কাজ পিছিয়ে পড়ার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান বজলুরই পুরোপুরি দায়ী বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বজলুর রহমান বলেছেন, প্রকল্প এলাকার লোকজন জমি দিতে আপত্তি করায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এদিকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হলেও প্রকল্পের টাকায় ২০১৩ সালে দুই দফায় ১৫ দিন করে ১৪ কর্মকর্তা কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেন। প্রকল্পের টাকা থেকে ১৪ কর্মকর্তার ভ্রমণ ব্যয় বাবদ ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রকল্পের টাকায় বিদেশ ভ্রমণকারী কর্মকর্তারা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ও বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম আরিফ উর রহমান, আরডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজীবুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাবেক একান্ত সচিব ও বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পণ্ডিত, গৃহায়ন অধিদফতরের সাবেক পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক বেগম লুৎফুন্নেসা, মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কোষের সাবেক ডেপুটি চিফ জালাল আহাম্মেদ, সাবেক পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবদুর রহমান আকন্দ, আরডিএ’র হিসাব কর্মকর্তা বাসারুল কবির, অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল তারিক, সহকারী প্রকৌশলী ও প্রান্তিকের প্রকল্প পরিচালক শেখ কামরুজ্জামান, সহকারী নগর পরিকল্পক রাহেনুল ইসলাম রনি ও সহকারী এস্টেট অফিসার মাজহারুল ইসলাম। জানা গেছে, প্রকল্পটির টাকায় ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকায় একটি নতুন মডেলের প্রাডো গাড়ি (নম্বর-রাজ-মেট্রো-গ-১১-০২২৩) কেনা হয়। প্ রকল্পে নুরুল ইসলাম নামের একজন গাড়িচালকও নিয়োগ করা হয়। গাড়িটি ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকায় আরডিএ’র নিজস্ব রেস্টহাউসে রয়েছে। গাড়িচালক নুরুল ইসলামও ঢাকায় থাকেন। গাড়ির তেল খরচ ও চালকের বেতন-ভাতাও প্রকল্পের টাকা থেকে দেয়া হয়। অভিযোগ- প্রকল্পের গাড়িটি সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন। এখন পর্যন্ত গাড়িটির কেনা, মেরামত, যাতায়াত ও জ্বালানি খরচ বাবদ ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান বলেন, নানা জটিলতায় প্রকল্পটি পিছিয়ে পড়েছে। নতুন করে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি, প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।
১০ বছরে লাখ লাখ টাকা খরচ হলেও প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। সাত বছর আগে মন্ত্রণালয়ের পাঁচ কর্মকর্তাসহ ১৪ কর্মকর্তা দুই দফায় বিদেশ সফর করেন।
দিনভর বিক্ষোভে অচল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস
মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত চিঠিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কাজ বন্ধ করে দিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেছে সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও কর্মচারউরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে কাস্টম হাউসের সামনে বিক্ষোভের কারণে সারাদিন কাস্টম হাউসে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কোনো ধরনের ডকুমেন্ট নিষ্পত্তি হয়নি। কার্যত সারাদিন অচল ছিল দেশের প্রধান রাজস্ব আহরণকারী এই প্রতিষ্ঠানটি। এতে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি আমদানিকারকদেরও পণ্য ছাড় না পেয়ে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা বলছেন, এই বিক্ষোভ ছিল কাস্টমসের অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানির বিরুদ্ধে। এসব বন্ধে তারা ৮ দফা দাবি দিয়েছিলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মালিক-কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। বৈঠক শেষে ইস্যু করা চিঠি পর্যালোচনা সাপেক্ষে প্রত্যাহার ও দাবি আদায়ের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে তারা কাজ শুরু করে। এরপর কাস্টম হাউস সচল হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম গত ১২ জানুয়ারি ৬টি প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করেন। ‘মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত পণ্য খালাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ’ শীর্ষক চিঠিতে বলা হয়, মিথ্যা ঘোষণায় বা ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য আমদানির বিষয় ধরা পড়লে বা প্রমাণ হলে দি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ অনুযায়ী জরিমানা আরোপ, তা আদায়পূর্বক পণ্যচালান খালাস প্রদান এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে লাইসেন্সিং রুলের আওতায় ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এ ধরনের ঘটনায় কেবল আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ ধরনের চালান আমদানি ও ছাড়ের ক্ষেত্রে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অনেক সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এ কারণে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির প্রবণতা আশানুরূপ কমছে না। কেবল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস নয়, দেশের সব শুল্ক স্টেশনে একই অবস্থা। জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হলে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির প্রবণতা যেমন কমবে, তেমনি রাজস্ব সুরক্ষা নিশ্চিত ও পণ্য চালান খালাস দ্রুততর হবে। কাস্টমস কমিশনার প্রদত্ত ৬টি প্রস্তাবের শেষ প্রস্তাবে বলা হয়, কাস্টম অ্যাক্ট ও কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এক বছরে একাধিকবার একই অপরাধ করলে তার লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করার বিধান প্রয়োজন। বিধিমালা সংশোধন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় এনবিআরের কাছে। সূত্র জানায়, মূলত এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে চিটাগং কাস্টমস ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং চিটাগং কাস্টমস ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) কর্মচারি ইউনিয়ন। পণ্য ছাড়ের সঙ্গে জড়িত মালিক-কর্মচারীদের দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফা দাবিতে লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত কাস্টম হাউসের ইস্যু করা চিঠি প্রত্যাহারের শর্ত দেয়। এই চিঠিকে তারা অপমানজনক উল্লেখ করে এতে বলা হয়, একই ধরনের পণ্যের শুল্ক দেশের অন্য কাস্টম হাউসের তুলনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বেশি আদায় করা হচ্ছে। ডাটাবেজ না মেনে অনেক ক্ষেত্রে ‘লোড’ বা অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হলেও তা না দেখে ইচ্ছেমাফিক শুল্ক চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা সবসময় লঙ্ঘন করা হয়। অতিরিক্ত শুল্ক দিতে গিয়ে শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এইচএস কোডের ভুল ব্যাখ্যা ও দোহাই দিয়ে আমদানি পণ্যের ওপর প্রতিনিয়ত জরিমানা আরোপ, ল্যাব টেস্টের নামে হয়রানি, একই চালানে পদে পদে কোয়ারি দিয়ে সময়ক্ষেপণ, এআইআর শাখা কর্তৃক পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা বা পুনঃনিরীক্ষণের নামে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয় দাবিতে। এসব বন্ধের লক্ষ্যেই কাস্টম হাউসে মঙ্গলবার কাজ বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় বলে জানায় দুই সংগঠন। এ প্রসঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু যুগান্তরকে বলেন, কাস্টম হাউসে আমরা এমনিতে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছি। তার ওপর আমাদের লাইসেন্স বাতিলের জন্য নির্দেশনা চেয়ে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেটি অপমানজনক। তাই ওই চিঠি প্রত্যাহারসহ হয়রানি-অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ৮ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ৮ দফা দাবি নিয়ে কাস্টম কমিশনারের সঙ্গে নেতাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে চিঠি প্রত্যাহারসহ দাবি আদায়ের আশ্বাস দেয়ায় অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে কাজে যোগ দিয়েছি। চিঠি প্রসঙ্গে কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, সরকারের রাজস্ব সুরক্ষা করাই হচ্ছে আমার কাজ। কোনো সৎ আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়নি। তা ছাড়া যে চিঠিটি আমি এনবিআরে পাঠিয়েছি তাতে দেশের সব শুল্ক স্টেশনে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হয়নি। তাহলে কেন কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে হবে। তা ছাড়া আমি তো তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সবসময় আলোচনা করছি। তাদের নিয়েই তো আমার কাজ।
মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত চিঠিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কাজ বন্ধ করে দিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেছে সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও কর্মচারউরা।
দুই এপিএসকে দুদকে তলব
অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই এপিএসকে তলব করেছে দুদক। এরা হলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর এপিএস এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়রের এপিএস। এছাড়া জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর পিএ’কেও দুদকে ডাকা হয়েছে। মঙ্গলবার দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা ১ ও ২ থেকে তাদের তলব করে এই নোটিশ জারি করা হয়। বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখকে ২০ জানুয়ারি দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের বিশেষ অনুসন্ধান-তদন্ত শাখা-১ থেকে তাকে এই নোটিশ দেয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সামসুল আলম। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেয় দুদক। মঙ্গলবার দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা-২ এর পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা চিঠিতে ২১ জানুয়ারি তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ঠিকাদার জি কে শামীমসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে সাঈদ খোকনের এপিএসের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর পিএ আজিজ চৌধুরীকে ২১ জানুয়ারি তলব করা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দফতর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে ক্যাসিনোকাণ্ডসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আজ। এর আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান। এদিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেনকে ২০ জানুয়ারি দুদকে তলব করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি বিশেষ টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই এপিএসকে তলব করেছে দুদক। এরা হলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর এপিএস এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়রের এপিএস।
মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার, বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার রাতে মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। সম্মেলনে গোলাম মসিহ (সৌদি আরব), মোহাম্মদ ইমরান (ইউএই), মেজর জেনারেল (অব.) কেএম মমিনুর রহমান (বাহরাইন), এএফএম গাউসুল আজম সরকার (ইরান), এএমএম ফরহাদ (ইরাক), এসএম আবুল কালাম (কুয়েত), আবদুল মোত্তালেব সরকার (লেবানন), মো. গোলাম সারোয়ার (ওমান) ও আসুদ আহমেদ (কাতার) উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার, বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে বলেন, বিনিয়োগ ও রফতানির ক্ষেত্রে কোন দেশে কোন পণ্য এবং কী পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, তা আপনাদের জানতে হবে। সে অনুযায়ী আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং কাজ করতে হবে। কোনো প্রবাসীকে যেন বিদেশের মাটিতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা একই সঙ্গে কূটনৈতিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী ও অন্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর মধ্যে যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুরাহা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সে ধরনের পরিস্থিতিতে বৈদেশিক সম্পর্ক জোরদার হবে, তবে তা হতে হবে সংলাপের মাধ্যমে। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরকালে সোমবার রাতে সাংরিলা হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কাজ করার সময় মনে রাখতে হবে যে, বিশ্ব এখন একটা ‘বৈশ্বিক পল্লী’। আমরা সবাই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রত্যেককে একে অপরের সহযোগিতা বাড়ানোর মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা সংরক্ষণ, সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সর্বাধিক রেমিটেন্স পাঠানোর কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রায়ই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের নিরাপত্তার জন্য সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। বিদেশে চাকরিপ্রার্থী কোনো ব্যক্তি যেন প্রতারণার শিকার না হয়, সেজন্য ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। বিদেশে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে সরকারি রেটের বাইরে অন্য কোনো চার্জ গ্রহণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে ব্যাপক অবদান রাখছে। সরকার তাদের কল্যাণে ‘প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রবাসীরা বাণিজ্যের জন্যও সেখান থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য যে পররাষ্ট্রনীতি রেখে গেছেন, তার মূল কথা হল- ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্র“তা নয়।’ তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে একসময় বিদেশি দাতাদের ঋণের ওপর নির্ভর করতে হতো। এ অবস্থা থেকে অর্থনীতিকে নতুন মর্যাদায় উন্নীত করতে দেশের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার এখন ব্লু ইকোনমি নিয়ে কাজ করছে। শেখ হাসিনা বলেন, তবে পরিস্থিতি এখন বদলে গেছে, বাংলাদেশ আগের অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে, এখন আমরা কোনো দাতাকে ডাকি না, বরং আমরা ‘উন্নয়ন অংশীদার’ চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র কমে ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে, দারিদ্র্যের এই হার আরও তিন শতাংশ কমাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নিজস্ব কৌশলে সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছে, এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতার লিখিত আরেকটি বই ‘আমার দেখা নয়া চীন’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের সুযোগ পাওয়া আমাদের জন্য বিশাল সৌভাগ্যের বিষয়। তিনি বলেন, এ উপলক্ষে বাংলাদেশে অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্য আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি এবং আমরা পেয়েছি নিজেদের আত্মপরিচয় ও পাসপোর্ট। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরব আমিরাতে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে বিকালে দেশের উদ্দেশে আবুধাবি ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৬টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এর আগে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের আইসিসি হলে ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক ২০২০’ এবং ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ সিরিমনি’তে যোগ দেন। ডিপি ওয়ার্ল্ডের পৃথক প্রতিনিধি দল চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম, আমিরাত জাতীয় তেল কোম্পানির (ইএনওসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ হুমাইদ আল ফালাসি এবং দুবাই শাসক পরিবারের সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মকতুম এমএকের নেতৃত্বে পৃথকভাবে এদিন বিকালে প্রধানমন্ত্রীর আবাসিক হোটেল শাংগ্রিলাতে সাক্ষাৎ করে। আমিরাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের একটি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। একইদিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। মঙ্গলবার বিকালে দাহরান ভিত্তিক সৌদি আরবের জাতীয় তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি সৌদি আরামকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এসিডব্লিউএ পাওয়ারের চেয়ারম্যান এবং সৌদি আরবের ইউটিলিটি ডেভেলপার হোটেল শাংগ্রিলার দ্বিপাক্ষিক সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ুজনিত পদক্ষেপে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সংক্রান্ত একটি সাক্ষাৎকার পর্বেও অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার, বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার রাতে মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
আগে ছয় পরে ৯ কার্যকর, সুদহার নিয়ে ব্যাংকার্স সভায় এমডিরা
সিঙ্গেল ডিজিট যথাসময়ে কার্যকরে কোনো বাধা নেই। তবে ৬ শতাংশ সুদে আমানত পেলেই কেবল ৯ শতাংশে ঋণ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের এমডিরা। এখন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রজ্ঞাপনটি যত দ্রুত জারি করা হবে ততই মঙ্গল বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। এদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) ঋণ সিঙ্গেল ডিজিটের বাইরে রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন এমডিরা, তা নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা স্থায়ী আমানত রিসিট (এফডিআর) একযোগে না তোলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকার্স সভা শেষে এসব কথা জানিয়েছেন এবিবির চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। উভয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মতামত তুলে ধরেন গণমাধ্যমের সামনে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা, সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নেতৃত্বে সব ব্যাংকের এমডিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এসএমই খাতকে সিঙ্গেল ডিজিটের বাইরে রাখার সুপারিশ করেছিল এমডিরা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সেই সুপারিশ সমর্থন করে না। কারণ দেশের উন্নয়নে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অবদানও কোনোভাবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাই এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। সেখান থেকে ব্যাংকগুলোর আমানত একসঙ্গে উঠিয়ে না নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ভুয়া ঋণ বন্ধে জামানত সংরক্ষণের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে জামানত সংরক্ষণে শক্তিশালী ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়। এবিবির নতুন চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, গভর্নর জানিয়েছেন যথাসময়ে সার্কুলার জারি করে বিস্তারিত জানানো হবে। তিনি বলেন, সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়ন করতেই হবে। এটা করতে আমরা বাধ্য। কিন্তু ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদ ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে সরকারি আমানত যত তাড়াতাড়ি দেয়া হবে, তত তাড়াতাড়ি এটি কার্যকর করা সম্ভব হবে। সভায় আমাদের বিশেষ কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকিং খাতের কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছি। ঋণ অবলোপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে কোনো কিছু পরিবর্তন করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। গত দেড় বছরে ৯/৬ সুদহার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি কেন প্রশ্নের জবাবে আলী রেজা ইফতেখার জানান, শব্দটি ৯/৬ নয়, ৬/৯ হবে। আগে ৬ শতাংশে আমানত, পরে ৯ শতাংশে ঋণ দেয়া হবে। এর মাধ্যমে গত দেড় বছরে আমাদের ব্যর্থতা প্রমাণ হয়নি বরং বাজারের চাহিদাই ছিল এমন। ২ শতাংশে ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়ে তিনি বলেন, এই কাজটি পুরোপুরি ব্যাংক ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগাচ্ছে। ২ শতাংশে ঋণ পুনঃতফসিল করবে কি না, সেটা পুরোপুরি ব্যাংকের ব্যাপার। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
সিঙ্গেল ডিজিট যথাসময়ে কার্যকরে কোনো বাধা নেই। তবে ৬ শতাংশ সুদে আমানত পেলেই কেবল ৯ শতাংশে ঋণ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের এমডিরা।
আলোচ্যসূচিতে বেসরকারি বাণিজ্য উন্নয়নসহ ৮ ইস্যু
ঢাকা সিটি নির্বাচনের কারণে দু’দিন নয় এবার একদিনই হবে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের’ (বিডিএফ) বৈঠক। আগামী ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে বেসরকারি বাণিজ্য উন্নয়নে নীতিগত সহায়তাসহ ৮টি ইস্যু উপস্থাপন করা হবে। মূল প্রবন্ধ হিসেবে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তুলে ধরবে সরকার। সাধারণত দুই বছর পরপর দু’দিনব্যাপী এ বৈঠক হয়ে এলেও এবার বৈঠক হবে একদিন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিডিএফ বৈঠক সফল করতে আজ অনুষ্ঠিত হবে প্রস্তুতি সভা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ। এবারের বৈঠকে যেসব ইস্যু গুরুত্ব পাবে সেগুলো হল- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও এর অর্থায়ন, গ্রামীণ রূপান্তরের মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি, টেকসই নগরায়ন, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও মানসম্মত শিক্ষা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, সৃজনশীল অর্থায়ন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বন এবং জ্বালানি নিরাপত্তা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৭-১৮ জানুয়ারি বিডিএফ বৈঠক হয়েছিল। জানতে চাইলে আয়োজক সংস্থা ইআরডি’র সচিব মনোয়ার আহমেদ মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, বিডিএফ সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা উন্নয়ন সহযোগীদের সামনে তুলে ধরব। আমাদের দেশীয় কৌশলের সঙ্গে তারা কীভাবে তাদের সহায়তা আরও বাড়াতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে। তাছাড়া আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে গেলে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবিলায় করণীয় এবং উন্নয়ন সহযোগীদের ভূমিকা নিয়েও কথা হবে বৈঠকে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বিডিএফ প্রসঙ্গে বলেন, বিডিএফের ভূমিকা এখন অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। আমাদের বাজেট অনেক কম বৈদেশিক সহায়তানির্ভর। ফলে উন্নয়ন সহযোগীদের কর্তৃত্ব আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তারপরও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৪০ শতাংশ এখনও বৈদেশিক অর্থনির্ভর। সামাজিক খাত যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামো খাতে এখনও উন্নয়ন সহযোগীদের কৌশলগত ভূমিকা অনেক বড়। এর মধ্যে আবার দ্বিপক্ষীয় দাতাদের ভূমিকা আরও অনেক বেশি। এলডিসি উত্তরণের পর কী ধরনের বা কীভাবে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার করা হবে, বিশেষ করে রেয়াতি সুদের ঋণ কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আগামী দিনে অর্থনৈতিক রূপান্তরের কৌশলগত ভূমিক নির্ধারণ বড় বিষয়। এক্ষেত্রে দাতা গোষ্ঠীর ভূমিকা আলোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ইআরডি সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচনের কারণে বিডিএফ বৈঠকের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্বাচন পেছানোর রিট আবেদন খারিজ করে পূর্বনির্ধারিত তারিখ বহাল রাখায় একদিন অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি বিডিএফ বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিডিএফের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজকের (বুধবার) বৈঠকে একটি কি-নোট সেশন এবং ৮টি ওয়ার্কিং সেশনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এতে সংশ্লিষ্টরা তাদের ইস্যুভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরবেন। যেসব মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি প্রস্তুতি সভায় অংশ নিচ্ছে সেগুলো হল- পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছি। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করে ২০ জানুয়ারি ইআরডির কাছে পাঠাব। তারা দেখে দিলে সেটিই বিডিএফে উপস্থাপন করা হবে। তিনি জানান, এর আগে ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত বিডিএফ বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছিল ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। ২০১৫ সালে বিডিএফে উপস্থাপন করা হয় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং আগামী বিডিএফে তুলে ধরা হবে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এবারের বৈঠকের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কী ধরনের অর্থনৈতিক কৌশল নিচ্ছে তা উন্নয়ন সহযোগীদের সামনে তুলে ধরা হবে। ফলে নতুন কী কী ক্ষেত্রে, কী ধরনের বিনিয়োগ ও সহায়তা প্রয়োজন এবং উন্নয়ন সহযোগীরা কীভাবে কোন ধরনের সহায়তা দিতে পারবে সেসব বিষয় উঠে আসবে। সূত্র জানায়, বিডিএফের মূল প্রতিবেদন হচ্ছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এটি আগামী ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের জন্য তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর খসড়া তৈরি করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগে গতি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ১৫টি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারকে পরিকল্পনা তৈরিতে দিক নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূর করাই মূল উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে থাকছে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানোর পরিকল্পনা। যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সেগুলোর অন্যতম হল জিডিপি প্রবৃদ্ধির কাঠামোগত রূপান্তর করা। এছাড়া আর্থিক খাতে সংস্কার, সরকারি সম্পদ বৃদ্ধি জোরদারকরণ, অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং রফতানি বৈচিত্র্যকরণ। আরও কিছু চ্যালেঞ্জ হল- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে গতি আনা, কর্মদক্ষতার সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করা, চরম দারিদ্র্য নির্মূল, আয় ও আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন ও বিকেন্দ্রীকরণ।
ঢাকা সিটি নির্বাচনের কারণে দু’দিন নয় এবার একদিনই হবে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের’ (বিডিএফ) বৈঠক। আগামী ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে বেসরকারি বাণিজ্য উন্নয়নে নীতিগত সহায়তাসহ ৮টি ইস্যু উপস্থাপন করা হবে।
সুন্দরগঞ্জে চার জনের জামিন নামঞ্জুর
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গরু চুরির অপবাদে স্কুলছাত্র রাফিকুল ইসলামকে নির্যাতনের মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে চার জনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এরপর তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। এরা হল আইজল হক, ইয়াজুল হোসেন, নাজমুল হক ও সজল মিয়া। অপর ৯ আসামি জামিন পেয়েছেন। অভিযুক্ত ১৩ আসামি মঙ্গলবার গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বরত বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রমেশ কুমার দাগার আদালতে সশরীরে হাজির হন। সেখানে জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- রানা মিয়া, তনু প্রামাণিক, তুহিন প্রামাণিক, সাবু প্রামাণিক, লেলিন প্রামাণিক, মুসা প্রামাণিক, ফজল মিয়া, ফজলু মিয়া ও রহমত আলী। উল্লেখ্য, উপজেলার উত্তর ধুমাইটারী গ্রামে রাজা মিয়া ওরফে নজু মিয়া গরু চুরির সন্দেহে শুক্রবার রাতে প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাফিকুল ইসলামকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে রাতভর গাছে বেঁধে রাখে। পরদিন হাত-পা বেঁধে প্রকাশ্যে অমানবিক নির্যাতন চালায়। পুলিশ রাফিকুলকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গরু চুরির অপবাদে স্কুলছাত্র রাফিকুল ইসলামকে নির্যাতনের মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে চার জনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এরপর তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। এরা হল আইজল হক, ইয়াজুল হোসেন, নাজমুল হক ও সজল মিয়া। অপর ৯ আসামি জামিন পেয়েছেন।
ঘন কুয়াশায় শাহ আমানতের তিন ফ্লাইট কলকাতায়
ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে কলকাতা চলে যায় তিনটি ফ্লাইট। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আন্তর্জাতিক রুটের এ তিন ফ্লাইট শাহ আমানতে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় এগুলোকে অবতরণ না করিয়ে কলকাতায় ঘুরিয়ে দেয়া হয়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিফ এয়ার ট্রাফিক অফিসার কাজী খায়রুল কবীর যুগান্তরকে জানান, সকালে দোহা থেকে আসা ইউএস বাংলা, মাসকাট থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট কুয়াশার কারণে অবতরণ করতে পারেনি। ফ্লাইটগুলো কলকাতায় অবতরণ করে। সকাল ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত বিমান বন্দরের রানওয়েতে কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম ছিল। এ কারণে ওই তিন ফ্লাইটকে কলকাতায় ডাইভার্ট করা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে দুপুরে এসব ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে ফিরে আসে।
ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে কলকাতা চলে যায় তিনটি ফ্লাইট। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আন্তর্জাতিক রুটের এ তিন ফ্লাইট শাহ আমানতে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় এগুলোকে অবতরণ না করিয়ে কলকাতায় ঘুরিয়ে দেয়া হয়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিফ এয়ার ট্রাফিক অফিসার কাজী খায়রুল কবীর যুগান্তরকে জানান, সকালে দোহা থেকে আসা ইউএস বাংলা, মাসকাট থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট কুয়াশার কারণে অবতরণ করতে পারেনি। ফ্লাইটগুলো কলকাতায় অবতরণ করে। সকাল ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত বিমান বন্দরের রানওয়েতে কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম ছিল। এ কারণে ওই তিন ফ্লাইটকে কলকাতায় ডাইভার্ট করা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে দুপুরে এসব ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে ফিরে আসে।
শাহ আমানতে যাত্রীর পেটে এক কেজি স্বর্ণ
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রীর পেট থেকে ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার ওজন ৯৩৩ গ্রাম এবং বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। মো. মোরশেদ নামে ওই যাত্রীর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। এদিকে পৃথক ঘটনায় মঙ্গলবার অপর এক যাত্রীর জুতার ভেতর থেকে ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার রিয়াদুল ইসলাম যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিমান বন্দর সূত্র জানায়, মোরশেদ সোমবার রাত ১০টায় শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে চট্টগ্রাম আসেন। গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে চ্যালেঞ্জ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাস্টমস ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। আর্চওয়ে দিয়ে হাঁটানো হলে সংকেত বেজে ওঠে। ভয় দেখালে ওই যাত্রী টয়লেটে গিয়ে ৮টি সোনার বার বের করে দেয়। তাকে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় আবুধাবি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আসা সরওয়ারুল ইসলাম নামের এক যাত্রীর জুতার ভেতর থেকে ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রীর পেট থেকে ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার ওজন ৯৩৩ গ্রাম এবং বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। মো. মোরশেদ নামে ওই যাত্রীর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়।
মহম্মদপুরে হামলায় নিহত ১, আটক ৬
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। নিহতের নাম আবু সাঈদ। তার বাবার নাম ইসলাম মোল্যা এবং বাড়ি বালিদিয়া গ্রামে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১১ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বড়রিয়া ঘৌড়দৌড় মেলা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন ইউনুস শিকদার সমর্থক আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীরা। বালিদিয়ার ঝিনাইপুকুর এলাকায় পৌঁছালে সাবেক মেম্বার ইমরুল শিকদারের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবু সাঈদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আবু সাঈদ গুরুতর জখম হন। তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে আরও সাতজন আহত হয়। তারা মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান (পিপিএম), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবীর সিদ্দিকী শুভ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, বালিদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ মিনা ও বালিদিয়া গ্রামের ইউনুস শিকদারের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। নিহতের নাম আবু সাঈদ। তার বাবার নাম ইসলাম মোল্যা এবং বাড়ি বালিদিয়া গ্রামে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১১ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
রুটি দিতে দেরি হওয়ায় হাতুড়িপেটা হোটেল কর্মচারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে রুটি দিতে দেরি হওয়ায় রাব্বি (২৫) নামে এক হোটেল কর্মচারীকে হাতুড়িপেটা করেছে কয়েকজন যুবক। ওই কর্মচারী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে তাকে হাতুড়িপেটা করা হয়। রাব্বি আলীপুর শাপলা সড়কের নূরু শেখের ছেলে। গোরস্থান এলাকায় বিল্লাল হোসেনের হোটেলে কাজ করতেন তিনি। রাব্বির মামা ওই হোটেলের মালিক বিল্লাল হোসেন জানান, সকালে স্থানীয় একদল যুবক এসে রুটি চায়। তারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় খাবার দিতে কিছুটা সময় লেগে যায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে যুবকরা হাতুড়ি নিয়ে রাব্বিকে বেধড়ক পেটায়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
ফরিদপুরে রুটি দিতে দেরি হওয়ায় রাব্বি (২৫) নামে এক হোটেল কর্মচারীকে হাতুড়িপেটা করেছে কয়েকজন যুবক। ওই কর্মচারী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে তাকে হাতুড়িপেটা করা হয়। রাব্বি আলীপুর শাপলা সড়কের নূরু শেখের ছেলে। গোরস্থান এলাকায় বিল্লাল হোসেনের হোটেলে কাজ করতেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবদুল করিম হারুন (৪২) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে পোর্ট এলিজাবেথের কষ্টান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হারুন ৭ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যান এবং সেখানে ব্যবসা শুরু করেন। আবদুল করিম হারুন দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডেউয়ালিয়া ভূঞা বাড়ীর আবদুল গফুরের ছেলে। স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে কোকালা কোম্পানির টাকা পরিশোধ করতে যাচ্ছিলেন হারুন। পথে একদল কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসী তার গাড়ির গতিরোধ করে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এরপর তার সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সহকর্মীরা তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবদুল করিম হারুন (৪২) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে পোর্ট এলিজাবেথের কষ্টান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হারুন ৭ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যান এবং সেখানে ব্যবসা শুরু করেন। আবদুল করিম হারুন দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডেউয়ালিয়া ভূঞা বাড়ীর আবদুল গফুরের ছেলে। স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে কোকালা কোম্পানির টাকা পরিশোধ করতে যাচ্ছিলেন হারুন। পথে একদল কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসী তার গাড়ির গতিরোধ করে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এরপর তার সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সহকর্মীরা তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক সম্রাট কামরু গ্রেফতার
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক সম্রাট খ্যাত কামরুজ্জামান কামরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কামরুর মাথার ওপর ঝুলছে ১৮ মামলা। তারপরও সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিব্যি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে সোমবার রাতে গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী এলাকায় বিক্রির সময় ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ তাকে গ্রেফতার করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। গোদাগাড়ী থানার ওসি খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। কামরুর স্ত্রী রোজিনাও দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। এলাকায় রোজিনা বিন্দু মাসি নামে পরিচিত। একটি মাদকের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছে রোজিনা। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গোদাগাড়ীর কৃষ্ণবাটি গ্রামের জকি মণ্ডলের ছেলে কামরুজ্জামান কামরু ২০ বছর ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত। পুলিশ তাকে ৭ বার মাদকসহ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু প্রতিবারই কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে আবার এ ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর গোদাগাড়ী, রাজপাড়া ও দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ১৮টি মাদকের মামলা রয়েছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক সম্রাট খ্যাত কামরুজ্জামান কামরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কামরুর মাথার ওপর ঝুলছে ১৮ মামলা। তারপরও সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিব্যি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে সোমবার রাতে গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী এলাকায় বিক্রির সময় ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ তাকে গ্রেফতার করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ।
ফরিদপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
ফরিদপুরে রিনা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে চরকমলাপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী ট্রাকচালক মো. হাসান পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের মো. শাহজাহানের মেয়ে রিনার সঙ্গে ৯ বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মো. হাসানের বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছর বয়সী আনিতা ও তিন বছর বয়সী তালহা নামে দুটি সন্তান আছে। তারা কয়েক বছর ধরে শহরের চরকমলাপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভাই মো. রাজীব জানান, রিনা ও হাসানের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সোমবার রাতে দুই পরিবারের সদস্যরা বসে বিষয়টির মীমাংসা করেন। মঙ্গলবার সকালে মা জোলেখা বেগম গিয়ে রিনাকে নিথর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশীদের সহায়তায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরে রিনা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে চরকমলাপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী ট্রাকচালক মো. হাসান পলাতক রয়েছেন।
ভাঙ্গায় সড়কের পাশে ৩২ মামলার আসামির লাশ
ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলায় বগাইল এলাকা থেকে ৩২ মামলার আসামি ঠিকাদার শহিদুল ওরফে ট্যারা মানিকের লাশ সোমবার সকালে উদ্ধার করে পুলিশ। শহিদ ফরিদপুরের কোতোয়ালির থানার গোপালপুর বাদামতলী গ্রামের মতিয়ার রহমান ওরফে রতন মোল্লার ছেলে। তিনি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে পুরাতন বাড়িতে মাঝেমধ্যে থাকতেন। এ ঘটনায় শহিদুলের মা বেলী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ জানায়, শহিদ রোববার সন্ধ্যায় বন্ধুর ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে স্বজনরা। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সন্দেহ হয়। পরের দিন সকালে লাশের খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানায় এসে শহিদের লাশ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা। ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত জায়গায় শহিদকে হত্যা করে তার লাশ বগাইল ফেলে যায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩২টি মামলা রয়েছে।
ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলায় বগাইল এলাকা থেকে ৩২ মামলার আসামি ঠিকাদার শহিদুল ওরফে ট্যারা মানিকের লাশ সোমবার সকালে উদ্ধার করে পুলিশ। শহিদ ফরিদপুরের কোতোয়ালির থানার গোপালপুর বাদামতলী গ্রামের মতিয়ার রহমান ওরফে রতন মোল্লার ছেলে। তিনি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে পুরাতন বাড়িতে মাঝেমধ্যে থাকতেন। এ ঘটনায় শহিদুলের মা বেলী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
কুমিল্লায় পুলিশের ডিআইজি পরিচয় দেয়া প্রতারক আটক
পুলিশ ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ নামে পুলিশের ডিআইজি ও এসপি পরিচয় দেয়া এক প্রতারককে আটক করেছে। সোমবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে সহযোগী গাড়িচালক রুবেলসহ তাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। ফখরুদ্দিন পুলিশে চাকরি দেয়া ও বদলি করাসহ নানা কাজের আশ্বাসে সাধারণ মানুষের বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পোশাকে তোলা ছবি, ব্যবহৃত ভুয়া সিল ও অফিসিয়াল ডকুমেন্ট উদ্ধার করা হয়। ফখরুদ্দিন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাকুই গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম। তিনি জানান, ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ দীর্ঘদিন ধরে ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১১ জন বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ তাকে আটক করে। ফখরুদ্দিন ব্যক্তি ও পরিবেশ বিবেচনায় নিজেকে কখনও ডিআইজি, কখনও এসপি পরিচয় দিতেন। ১৯৯১ সালে ফখরুদ্দিন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগ দিলেও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন। ২০০০ সালে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাইকালে গ্রেফতার হন তিনি। পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের প্রতারণা অব্যাহত রাখেন।
পুলিশ ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ নামে পুলিশের ডিআইজি ও এসপি পরিচয় দেয়া এক প্রতারককে আটক করেছে। সোমবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে সহযোগী গাড়িচালক রুবেলসহ তাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। ফখরুদ্দিন পুলিশে চাকরি দেয়া ও বদলি করাসহ নানা কাজের আশ্বাসে সাধারণ মানুষের বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পোশাকে তোলা ছবি, ব্যবহৃত ভুয়া সিল ও অফিসিয়াল ডকুমেন্ট উদ্ধার করা হয়। ফখরুদ্দিন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাকুই গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে।
বিদ্যাগঞ্জে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহ-জামালপুর রেলপথের বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশন-সংলগ্ন বাজারে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ও দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনসহ প্রস্তাবিত নতুন ট্রেনগুলোর যাত্রাবিরতির দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারও মানুষ অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী। বক্তব্য দেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ, কুষ্টিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম হাসান, কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এসএম শামসুল হক কালু, বিদ্যাগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কিফায়েতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির ইউনিয়ন সভাপতি আবদুল লতিফ সরকার, বিএনপি নেতা নূরে আলম হারুন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আনছার আলী মণ্ডল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া, অষ্টাধর, বোররচর, খাগডহর ও মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ বিদ্যাগঞ্জ হয়ে সারা দেশে যাতায়াত করেন। বিদ্যাগঞ্জ বাজার-সংলগ্ন এলাকায় রেল স্টেশন, ব্যাংক, বিদ্যুৎ অফিস, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, এনজিওসহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি করলে দ্রুত যাতায়াতসহ সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। অবিলম্বে আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি না করলে রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন বক্তারা।
ময়মনসিংহ-জামালপুর রেলপথের বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশন-সংলগ্ন বাজারে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ও দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনসহ প্রস্তাবিত নতুন ট্রেনগুলোর যাত্রাবিরতির দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারও মানুষ অংশ নেন।
সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে নাইওরপুল সড়কটি বন্ধ
সিলেটে দুটি কালভার্ট সংস্কারের জন্য নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুই দিন আগে ঘোষণা ছাড়াই এ সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এ সড়ক বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতে। বেড়ে গেছে যানজট। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত কালভার্টের সংস্কার কাজ চলছে। এজন্য মাসখানেক এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বারুতখানা পয়েন্ট থেকে একশ’ গজ পশ্চিমে রাস্তার ওপরের বক্স কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে কালভার্ট ভাঙার কাজ শুরু হয়। পরের দিন সকালে নাইওরপুল পয়েন্ট থেকে শতাধিক গজ পশ্চিমে আরেকটি ছোট কালভার্ট ভাঙা হয়। এতে নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই সড়কের জিন্দাবাজার-বারুতখানা অংশে এবং জেল রোড-নাইওরপুল অংশে দুটি কালভার্টের পুরোটা ভেঙে ফেলায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়ক প্রশস্ত করার জন্য কালভার্ট দু’টি ভাঙা হয়েছে। এ দু’টি কালভার্ট নির্মাণে ছয় মাস সময় নির্ধারিত থাকলেও ঠিকাদারকে এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিলেটে দুটি কালভার্ট সংস্কারের জন্য নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুই দিন আগে ঘোষণা ছাড়াই এ সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এ সড়ক বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতে। বেড়ে গেছে যানজট। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত কালভার্টের সংস্কার কাজ চলছে। এজন্য মাসখানেক এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বারুতখানা পয়েন্ট থেকে একশ’ গজ পশ্চিমে রাস্তার ওপরের বক্স কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে কালভার্ট ভাঙার কাজ শুরু হয়। পরের দিন সকালে নাইওরপুল পয়েন্ট থেকে শতাধিক গজ পশ্চিমে আরেকটি ছোট কালভার্ট ভাঙা হয়। এতে নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই সড়কের জিন্দাবাজার-বারুতখানা অংশে এবং জেল রোড-নাইওরপুল অংশে দুটি কালভার্টের পুরোটা ভেঙে ফেলায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়ক প্রশস্ত করার জন্য কালভার্ট দু’টি ভাঙা হয়েছে। এ দু’টি কালভার্ট নির্মাণে ছয় মাস সময় নির্ধারিত থাকলেও ঠিকাদারকে এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিল বিএবি
২০২০ সালের জন্য বিশ্বের সেরা অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালকে স্বীকৃতি দেয়ায় তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। এ উপলক্ষে সোমবার বিএবি কার্যালয়ে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএবি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, ইআরডি’র সচিব মনোয়ার আহমেদসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের মাসিক সাময়িকী ‘দ্য ব্যাংকার’ বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে সম্প্রতি ‘ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ইয়ার ফর এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তিনিই বাংলাদেশ থেকে প্রথম এ সম্মান লাভ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান রউফ চৌধুরী, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচবিএম ইকবাল, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
২০২০ সালের জন্য বিশ্বের সেরা অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালকে স্বীকৃতি দেয়ায় তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। এ উপলক্ষে সোমবার বিএবি কার্যালয়ে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএবি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, ইআরডি’র সচিব মনোয়ার আহমেদসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের মাসিক সাময়িকী ‘দ্য ব্যাংকার’ বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে সম্প্রতি ‘ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ইয়ার ফর এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তিনিই বাংলাদেশ থেকে প্রথম এ সম্মান লাভ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান রউফ চৌধুরী, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচবিএম ইকবাল, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
শিবগঞ্জে ভাইকে হত্যার দায়ে সৎ ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে (৫২) কুপিয়ে হত্যার দায়ে সৎ ভাই কেতাব আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এদিকে ভাইকে খুন করার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ শওকত আলী মঙ্গলবার দুপুরে একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন। নিহত ও দণ্ডিত উভয়ই শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের হাউসনগর গ্রামের বিশারত আলী ওরফে বিশুর ছেলে। মামলার বরাত দিয়ে সরকারি আইনজীবী আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১৮ সালের ৩ মে রাতে মনাকষা চৌধুরী পাড়া গ্রামে সড়কের ওপর হাঁসুয়া দিয়ে বড় ভাই ডিম বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলমকে কুপিয়ে হত্যা করে সৎ ভাই কেতাব আলী। ভিটা বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সড়কের পাশে ওঁৎ পেতে থেকে ভাই বাড়ি ফেরার পথে সে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন শিবগঞ্জ থানায় কেতাব আলীকে একমাত্র আসামি করে মামলা করে নিহতের ছেলে অসিম আলী। মামলার পরদিনই পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে। শরীয়তপুর : জেলা জজ আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট সকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর থানার মুন্সিকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে পাটখড়ি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় বাবা আমানুল্লাহ মাল ও ছেলে ছলেমান মালের মধ্যে। এক পর্যায়ে ছলেমান মাল তার বাবাকে লাঠি দিয়ে মারার জন্য উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পাশে থাকা ছলেমানের ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন মাল বাবাকে রক্ষা করতে বড় ভাইকে বাধা দেয়। এ সময় বাবাকে মারতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন মালকে ছেনি দিয়ে কোপ দিলে সে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার তার অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন দেলোয়ার হোসেন মাল ঢাকায় হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে নিজ ছেলে ছলেমানের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে (৫২) কুপিয়ে হত্যার দায়ে সৎ ভাই কেতাব আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এদিকে ভাইকে খুন করার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।
সাংবাদিক আবু বকর চৌধুরীর আজ মৃত্যুবার্ষিকী
সাংবাদিক আবু বকর চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সর্বশেষ তিনি দৈনিক মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৯১ সালে ‘সাপ্তাহিক প্রত্যয়ন’ পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। এরপর ‘সাপ্তাহিক খবর’-এর নির্বাহী সম্পাদক, ১৯৯৫ সালে ‘আজকের কাগজ’-এ সহযোগী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৯ সালের ফেব্র“য়ারিতে প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে ‘আমাদের সময়’ পত্রিকায় যোগ দেন। ওই বছরের অক্টোবরে তিনি ‘সকালের খবর’-এ বার্তা সম্পাদক ও ২০১১-এর এপ্রিলে ‘সমকাল’ পত্রিকায় বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ২০১২ সালে তিনি বার্তা সম্পাদক হিসেবে ‘দৈনিক মানবকণ্ঠ’তে যোগদান করেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি দৈনিক মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
সাংবাদিক আবু বকর চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সর্বশেষ তিনি দৈনিক মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৯১ সালে ‘সাপ্তাহিক প্রত্যয়ন’ পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি।
এপ্রিলে বড় পরিসরে মেলা করবে বিসিক
দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বিপণনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আদলে বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ‘শতবার্ষিকী’ ও ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে এপ্রিলে এই মেলার আয়োজন করা হবে। এ বিষয়ে বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান বাসসকে বলেন, ‘মুজিববর্ষে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রসার ও বিপণনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তাই প্রথমবারের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বাণিজ্য মেলার আদলে বৃহৎ পরিসরে মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে সারা দেশ থেকে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হবেন।’ তিনি বলেন, এই মেলার ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য বিক্রির যেমন সুযোগ পাবেন, তেমনি তাদের পণ্যের প্রচার পাবে। পাশাপাশি পণ্য বিক্রির সুযোগ তৈরি হওয়ায় নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, এপ্রিলে ১৫ দিনব্যাপী মেলা হবে। এতে ৫০০ স্টল স্থান পাবে। মোশতাক হাসান জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজধানী ছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় শহরে এবার মেলার আয়োজন করা হবে। এছাড়া প্রতি জেলা শহরে বিসিকের উদ্যোগে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো- ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিকাশের মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করা। আমরা সেই পরিকল্পনা মোতাবেক এবার মেলা আয়োজনের পাশাপাশি সারা দেশে উদ্যোক্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা যাতে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, বিসিক মেলায় সাধারণত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তৈরি ব্লক, বাটিক, হস্তশিল্প, গৃহসজ্জা সামগ্রী, হস্তশিল্প পণ্য, নকশি কাঁথা, কারুশিল্প, চামড়াজাত দ্রব্যসহ বিভিন্ন ধরনের এসএমই পণ্য স্থান পায়।
দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বিপণনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আদলে বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বগুড়ায় সুজুকি গাড়ির মেলা
উত্তরা মোটর্স বগুড়ায় মঙ্গলবার থেকে সুজুকি গাড়ির মেলার আয়োজন করেছে। উত্তরা মোটর্স সার্ভিস সেন্টার, চারমাথা মোড়ে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলা শেষ হবে আগামীকাল। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন প্রধান অতিথি হিসেবে সুজুকি গাড়ির মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় উত্তরা মোটর্স লিমিটেডের হেড অব বিজনেস প্লানিং নাইমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মেলায় ক্রেতারা পছন্দের স্মার্ট হাইব্রিড প্রযুক্তির সুজুকি আরটিগা ও সুজুকি সিয়াজ, সুইফট, ওয়াগনার, ডিজার, ইকো অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন মডেলের সুজুকি গাড়ি কিনতে পারবেন। মেলায় রয়েছে বিশেষ মূল্য ছাড় ও সহজ শর্তে লোনের সুবিধা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
উত্তরা মোটর্স বগুড়ায় মঙ্গলবার থেকে সুজুকি গাড়ির মেলার আয়োজন করেছে। উত্তরা মোটর্স সার্ভিস সেন্টার, চারমাথা মোড়ে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলা শেষ হবে আগামীকাল।
চুনারুঘাটে সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে উপজেলার দ্বিমাগুরুন্ডা গ্রামে সংঘর্ষে আহত যুবক ইউনুছ আলী (৩০) মারা গেছে। সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৭ জানুয়ারি দুপুরে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউনুছ আলীসহ ৮ জন আহত হয়। ইউনুস আলী দেওরগাছ ইউনিয়নের দ্বিমাগুরুন্ডা গ্রামের কিতার আলীর ছেলে। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে কমলা মিয়াসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে উপজেলার দ্বিমাগুরুন্ডা গ্রামে সংঘর্ষে আহত যুবক ইউনুছ আলী (৩০) মারা গেছে। সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৭ জানুয়ারি দুপুরে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউনুছ আলীসহ ৮ জন আহত হয়। ইউনুস আলী দেওরগাছ ইউনিয়নের দ্বিমাগুরুন্ডা গ্রামের কিতার আলীর ছেলে। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে কমলা মিয়াসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
বাঘায় বখাটেদের হাতে জীবন দিলেন মামা
বাঘায় ভাগনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মামা নাজমুল হোসেনকে (৩০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে বখাটে ও তার সহযোগীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুলতান গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বখাটেদের হামলায় মেয়ের বাবা ও ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। জানা যায়, উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের স্কুলছাত্রীকে একই এলাকার মোহাম্মদ ভোলা প্রামাণিকের ছেলে সুমন আলী প্রায়ই রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি সুমনের পরিবারকে জানানো হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার বিকেলে পাশে নানার বাড়িতে যাচ্ছিল মেয়েটি। এ সময় তার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও উত্ত্যক্ত করে সুমন। ঘটনা সুমনের বাবাকে জানালে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমন ও তার ১০-১৫ জন সহযোগী বাড়িতে গিয়ে মেয়েটির বাবাকে মারধর শুরু করে। পরে ছাত্রীর মামা নাজমুল হোসেন এগিয়ে এলে তাকে ধারালো হাঁসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, চাকু দিয়ে কোপায়। এ ঘটনায় মেয়ের ভাইকেও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। পরে নাজমুল হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ের বাবা ও ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ হয়নি।
বাঘায় ভাগনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মামা নাজমুল হোসেনকে (৩০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে বখাটে ও তার সহযোগীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুলতান গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বখাটেদের হামলায় মেয়ের বাবা ও ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। জানা যায়, উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের স্কুলছাত্রীকে একই এলাকার মোহাম্মদ ভোলা প্রামাণিকের ছেলে সুমন আলী প্রায়ই রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি সুমনের পরিবারকে জানানো হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার বিকেলে পাশে নানার বাড়িতে যাচ্ছিল মেয়েটি। এ সময় তার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও উত্ত্যক্ত করে সুমন। ঘটনা সুমনের বাবাকে জানালে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমন ও তার ১০-১৫ জন সহযোগী বাড়িতে গিয়ে মেয়েটির বাবাকে মারধর শুরু করে। পরে ছাত্রীর মামা নাজমুল হোসেন এগিয়ে এলে তাকে ধারালো হাঁসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, চাকু দিয়ে কোপায়। এ ঘটনায় মেয়ের ভাইকেও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। পরে নাজমুল হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ের বাবা ও ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ হয়নি।
ওদের দেখলে সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভেসে ওঠে
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় জেলা দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মঙ্গলবার ৩ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার বাদী দুলাল শরীফের আপন দুই ভাই আবদুল আজিজ শরীফ ও আবদুস সালাম শরীফ এবং ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী ইদ্রুসুল আলমের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া শিশু আদালতেও রিফাত শরীফের মা ডেইজি বেগমসহ দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যে তিনি বলেছেন, আসামিদের দেখলেই সন্তানকে কোপানোর সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। শিশু আদালতে রিফাতের মায়ের কান্না : রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার শিশু আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন রিফাত শরীফের মা ডেইজি বেগম ও তার চাচাতো বোন নুসরাত জাহান অনন্যা। শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। পরে তাদের ১০ জন আইনজীবী জেরা করেন। মঙ্গলবার সকালে বরগুনা কারাগার থেকে আসামি রিশান ফরাজী, রিফাত হাওলাদার, আবু আবদুল্লাহ, অলি উল্লাহ, জয় চন্দ্র সরকার, মো. নাঈম, তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, সাইয়েদ মারুফ ও রাতুল সিকদারকে আদালতে আনা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা প্রিন্স মোল্লা, মারুফ মল্লিক ও আরিয়ান শ্রাবণও উপস্থিত হয়। দুপুর ২টায় বাদীর স্ত্রী ডেইজি বেগম আদালতে ছেলে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ আমাকে আর কত পরীক্ষা করবা। পরে সাক্ষ্য দেন রিফাতের আপন চাচাতো বোন নুসরাত জাহান।
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় জেলা দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মঙ্গলবার ৩ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার বাদী দুলাল শরীফের আপন দুই ভাই আবদুল আজিজ শরীফ ও আবদুস সালাম শরীফ এবং ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী ইদ্রুসুল আলমের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া শিশু আদালতেও রিফাত শরীফের মা ডেইজি বেগমসহ দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যে তিনি বলেছেন, আসামিদের দেখলেই সন্তানকে কোপানোর সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
নূরুন্নাহারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নববধূ নূরুন্নাহার বেগমকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আনিসুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন স্বামী রুবেল মিয়া। পুলিশ রোববার রাতে স্বামী মো. রুবেল মিয়া ও শ্বশুর মো. খুরশিদ আলমকে গ্রেফতার করে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। রোববার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা গ্রামে খুন হন নূরুন্নাহার। স্থানীয়রা জানান, বিয়ের দেড় মাসের মাথায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় গৃহবধূ নূরুন্নাহার বেগমের। হঠাৎ অজানা রোগে নূরুন্নাহার মারা গেছে বলে তার বাবা-মাকে খবর দেন স্বামী রুবেল মিয়া। ছুটে আসেন বাপের বাড়ির লোকজন। তাদের সন্দেহ নূরুন্নাহারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এর আগের দিন মুঠোফোনে নির্যাতনের কথা বাবাকে জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নববধূ নূরুন্নাহার বেগমকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আনিসুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন স্বামী রুবেল মিয়া। পুলিশ রোববার রাতে স্বামী মো. রুবেল মিয়া ও শ্বশুর মো. খুরশিদ আলমকে গ্রেফতার করে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। রোববার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা গ্রামে খুন হন নূরুন্নাহার। স্থানীয়রা জানান, বিয়ের দেড় মাসের মাথায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় গৃহবধূ নূরুন্নাহার বেগমের। হঠাৎ অজানা রোগে নূরুন্নাহার মারা গেছে বলে তার বাবা-মাকে খবর দেন স্বামী রুবেল মিয়া। ছুটে আসেন বাপের বাড়ির লোকজন। তাদের সন্দেহ নূরুন্নাহারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এর আগের দিন মুঠোফোনে নির্যাতনের কথা বাবাকে জানান তিনি।
আইএফআইসি ব্যাংক ও আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের মধ্যে চুক্তি
আইএফআইসি ব্যাংক ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট উইং আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে আইএফআইসি টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আইএফআইসি ব্যাংকের রিটেইল বিভাগের প্রধান ফেরদৌসি বেগম এবং আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী প্রধান নূর-এ-আলম সিদ্দিক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএম হাইকেল হাশমী, শাহ্্ মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন, সৈয়দ মনসুর মুস্তাফা, আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার খায়রুল বাসার পবণসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
আইএফআইসি ব্যাংক ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট উইং আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে আইএফআইসি টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আইএফআইসি ব্যাংকের রিটেইল বিভাগের প্রধান ফেরদৌসি বেগম এবং আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী প্রধান নূর-এ-আলম সিদ্দিক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
৩১ বছর পর শেষ হল সাক্ষ্য গ্রহণ
৩১ বছর পর শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভার আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলাটি চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলা নামে পরিচিত। চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন আইনজীবী শম্ভুনাথ নন্দী। আর এরই মধ্য দিয়ে ঘটনার ৩১ বছর পর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল। শম্ভুনাথ মামলার ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী যগান্তরকে বলেন, ‘মামলার ১৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৩ জন এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ পর্যায়ে এসে আমরা মনে করছি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্য হয়ে গেছে। আর অনেক বছর হয়ে গেছে মামলাটির। আর কত বছর অপেক্ষা করা যায়। সেজন্য আমরা সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করি। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তের অনুমতি দেন। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হবে।’ ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরুর আগে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রাক আদালত ভবনের দিকে আসার সময় গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এতে ২৪ জন মারা যান। গুলিবর্ষণের সময় মানববেষ্টনী তৈরি করে শেখ হাসিনাকে আইনজীবী সমিতি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ১৯৯২ সালে আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন। ১৯৯৭ সালে মামলার প্রথম অভিযোগপত্র এবং অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালে দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
৩১ বছর পর শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভার আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলাটি চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলা নামে পরিচিত। চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন আইনজীবী শম্ভুনাথ নন্দী। আর এরই মধ্য দিয়ে ঘটনার ৩১ বছর পর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল। শম্ভুনাথ মামলার ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী যগান্তরকে বলেন, ‘মামলার ১৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৩ জন এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ পর্যায়ে এসে আমরা মনে করছি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্য হয়ে গেছে। আর অনেক বছর হয়ে গেছে মামলাটির। আর কত বছর অপেক্ষা করা যায়। সেজন্য আমরা সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করি। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তের অনুমতি দেন। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হবে।’ ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরুর আগে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রাক আদালত ভবনের দিকে আসার সময় গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এতে ২৪ জন মারা যান। গুলিবর্ষণের সময় মানববেষ্টনী তৈরি করে শেখ হাসিনাকে আইনজীবী সমিতি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
লোহাগড়ায় কিশোরী গণধর্ষণের শিকার গ্রেফতার ১
নড়াইলের লোহাগড়ায় এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই কিশোরী নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সোমবার রাতে একজনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চর-আড়িয়ারা গ্রামের ওই কিশোরীকে রোববার সন্ধ্যায় একই গ্রামের কালাম মোল্যার ছেলে আল-আমিন মোল্যার নেতৃত্বে মনির মোল্যার ছেলে শিহাব মোল্যা, রবিউল মোল্যার ছেলে মকুল মোল্যা, শাহাজাহান মোল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্যা ও সবুর মোল্যার ছেলে ইয়াছিন মোল্যা বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে মুখ চেপে ধরে একটি ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। সোমবার সকালে কিশোরীকে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুপুরে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা সোমবার রাতে বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টর আমান উল্লাহ আল বারী জানান, এজাহারভুক্ত আসামি মুকুল মোল্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নড়াইলের লোহাগড়ায় এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই কিশোরী নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সোমবার রাতে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
পদ্মা সেতুর ৩১৫০ মিটার দৃশ্যমান
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর ২১তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে সেতুর ৩১৫০ মিটার দৃশ্যমান হল। মঙ্গলবার বিকালে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে স্প্যানটি বসানো হয়। সেতু বিভাগের প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। জানা যায়, সকালে মাওয়ার মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগের বিষেশায়িত জেডি থেকে ২১তম স্প্যানটি নিয়ে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়া নি হাউ জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা ১১টার দিকে ক্রেনটি জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায়। বিকাল ৩টায় ৩২ ও ৩৩২ নম্বার পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এ নিয়ে জাজিরা প্রান্তে ১৩টি এবং মাওয়া প্রান্তে ৮ স্প্যান বসল। উল্লেখ্য, ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে সব ক’টি পিলারের পাইলিং কাজ শেষ হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর ২১তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে সেতুর ৩১৫০ মিটার দৃশ্যমান হল। মঙ্গলবার বিকালে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে স্প্যানটি বসানো হয়। সেতু বিভাগের প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
আখাউড়ায় ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে। ভবনের নকশা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দুই সপ্তাহ ধরেই বিএসএফ কাজে বাধা দিচ্ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান যুগান্তরকে বলেছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) বিএসএফ বলেছে, ‘আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবনের উচ্চতা ভূমি থেকে ৩৫ ফিট পর্যন্ত করা যাবে। যে নকশায় ভবনের নির্মাণ কাজ চলছিল তা বিএসএফের বাধায় বন্ধ রয়েছে।’ এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। জানতে চাইলে সরাইল বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কবির যুগান্তরকে বলেন, দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে নতুন নকশায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ করা হবে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এলেই ফের কাজ শুরু হবে। আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই আবদুল হামিদ যুগান্তরকে জানান, বর্তমানে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নামমাত্র টিকে আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে। ভবনের নকশা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দুই সপ্তাহ ধরেই বিএসএফ কাজে বাধা দিচ্ছিল।
সিলেটে ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ, পেশকারের বিরুদ্ধে জিডি
সিলেট সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার অমৃত চাকমার বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিডি হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার এমএ জামান নগরীর এয়ারপোর্ট থানায় এই জিডি করেন। এতে বলা হয়- অমৃত চাকমা নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টের একটি রেস্টুরেন্টে গাড়ি ব্যবসার জন্য ২০১৬ সালে ১২ লাখ টাকা ধার নেন। বিভিন্ন সময় দেই দিচ্ছি বললেও তিনি এখনও টাকা দেননি। অমৃত চাকমা গোলাপগঞ্জের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ও আপিল অফিসার জিতেন্দ্র চন্দ্র দাসের পেশকার ছিলেন। এ সময় জমি সংক্রান্ত কাজে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায় হওয়ায় বললেন, চট্টগ্রাম থেকে গাড়ি এনে তিনি সিলেটে ব্যবসা করবেন বলে জানান। এরপর ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর নগদ ১২ লাখ টাকা ধার নেন। এজন্য তিনি আম্বরখানা পয়েন্টের রেস্টুরেন্টে কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। অমৃত চাকমা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে অমৃত চাকমার দাবি।
সিলেট সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার অমৃত চাকমার বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিডি হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার এমএ জামান নগরীর এয়ারপোর্ট থানায় এই জিডি করেন। এতে বলা হয়- অমৃত চাকমা নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টের একটি রেস্টুরেন্টে গাড়ি ব্যবসার জন্য ২০১৬ সালে ১২ লাখ টাকা ধার নেন। বিভিন্ন সময় দেই দিচ্ছি বললেও তিনি এখনও টাকা দেননি। অমৃত চাকমা গোলাপগঞ্জের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ও আপিল অফিসার জিতেন্দ্র চন্দ্র দাসের পেশকার ছিলেন। এ সময় জমি সংক্রান্ত কাজে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায় হওয়ায় বললেন, চট্টগ্রাম থেকে গাড়ি এনে তিনি সিলেটে ব্যবসা করবেন বলে জানান। এরপর ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর নগদ ১২ লাখ টাকা ধার নেন। এজন্য তিনি আম্বরখানা পয়েন্টের রেস্টুরেন্টে কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। অমৃত চাকমা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে অমৃত চাকমার দাবি।
সোনাইমুড়ি থেকে অপহৃত ও ধর্ষিত গৃহবধূ উদ্ধার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে অপহরণের ৩০ দিন পর গণধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গৃহবধূ জানান, প্রতিদিনের মতো ১২ ডিসেম্বর রাতের খাবার খেয়ে তার সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টায় তিনি ঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যাওয়ার সময় মুখ চেপে ধরে সোলেমান, মহসীন ও আবুল কালাম তাকে তার ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে নিয়ে মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তার বালিশের নিচ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণ নিয়ে তাকে চোখ, হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরদিন তিনি নিজেকে এক বদ্ধকক্ষে দেখতে পান। ওইদিন এ কক্ষে এসেও তাকে ৪-৫ জন ধর্ষণ করে। বিকালে তাকে কিছু ওষুধ খাওয়ানো হয়। এভাবে এক মাস ধরে তাকে তারা ধর্ষণ করে। তিনি অসুস্থ হলে ওষুধ খাইয়ে সুস্থ করে পুনরায় ধর্ষণ করত। প্রতিবাদ করলে তার সন্তানদের হত্যার হুমকি দিত। এভাবে চলার পর ১১ জানুয়ারি কৌশলে তিনি এক ধর্ষকের মোবাইল থেকে তার মাকে ফোন করে ঘটনা জানালে তার ছোট ভাই সোনাইমুড়ি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ ১২ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে অপহৃত ও গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ি থানায় নিয়ে আসে এবং তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। সোমবার সোনাইমুড়ি থানায় গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। পুলিশ সোলেমান নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। সোনাইমুড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গৃহবধূ একটু সুস্থ হলে তাকে আদালতে নিয়ে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে অপহরণের ৩০ দিন পর গণধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে আবদুল ফাত্তাহ্র যোগদান
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান পদে এবিএম আবদুল ফাত্তাহ্ সোমবার যোগ দিয়েছেন। পেট্রোবাংলায় যোগদানের আগে তিনি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১২ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে তাকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে প্রেষণে নিয়োগ করা হয়। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা। ১৯৮৯ সালে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান পদে এবিএম আবদুল ফাত্তাহ্ সোমবার যোগ দিয়েছেন। পেট্রোবাংলায় যোগদানের আগে তিনি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১২ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে তাকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে প্রেষণে নিয়োগ করা হয়। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা। ১৯৮৯ সালে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
শ্রীমঙ্গলে চা বাগান থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভুরভুরিয়া চা বাগান থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ইব্রাহিম মিয়া রকি (১৪) শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বধ্যভূমি-’৭১ সংলগ্ন ফিনলে টি কোম্পানির ভুরভুরিয়া চা বাগানের ভেতর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রকি শহরের ১০ নাম্বার ভানুগাছ রোড এলাকার মাংস ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার ছেলে। পুলিশ রকির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পরপর মৌলভীবাজারের সিনিয়র পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, পিবিআই মৌলভীবাজারসহ শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক জালালিয়া রোডের জালালউদ্দিনের ছেলে সজিব ও একই এলাকার আলী আজগরের ছেলে সোহান নামের দুই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিহতের বাবা দুলাল মিয়া জানান, সোমবার রাত ৭টায় ৩টি মোটরসাইকেল নিয়ে রকির বন্ধু রিফাত, রনি, সোহান, অন্তর, সাব্বির ও স্টেশন এলাকার যাত্রাওয়ালীর ছেলেসহ একটি বার্থডে পার্টিতে যাওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সারারাত থানাসহ তিনি বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে সকাল বেলায় শহরে মাইকিং করেন। পরে লোক মারফত খবর পান চা বাগানের ভেতরে এক তরুণের লাশ পড়ে আছে। তিনি ও তার স্ত্রী গিয়ে একটি গাছের সঙ্গে গলায় বেল্ট ও মাফলার দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তার ছেলে রকির লাশ শনাক্ত করেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভুরভুরিয়া চা বাগান থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ইব্রাহিম মিয়া রকি (১৪) শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বধ্যভূমি-’৭১ সংলগ্ন ফিনলে টি কোম্পানির ভুরভুরিয়া চা বাগানের ভেতর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রকি শহরের ১০ নাম্বার ভানুগাছ রোড এলাকার মাংস ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার ছেলে।
সেনাপ্রধানের সঙ্গে নেপালের সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
সেনা সদর দফতরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে মঙ্গলবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নেপাল সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল পুর্না চন্দ্র থাপা। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক, দ্বিপাক্ষিক প্রশিক্ষণ ও পেশাগত বিভিন্ন সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেন। একই দিনে সফরকারী প্রতিনিধি দলটি নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধি দলটি ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত কম্বাইন্ড মিলিটারি হসপিটাল (সিএমএইচ), মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলটি গাজীপুরে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করবে। আইএসপিআর।
সেনা সদর দফতরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে মঙ্গলবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নেপাল সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল পুর্না চন্দ্র থাপা। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক, দ্বিপাক্ষিক প্রশিক্ষণ ও পেশাগত বিভিন্ন সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেন। একই দিনে সফরকারী প্রতিনিধি দলটি নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।
কলাপাড়ার টিনু-তুহিন বাহিনীর দুই সদস্য অস্ত্রসহ আটক
১৩ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীর আলোচিত টিনু-তুহিন বাহিনীর অস্ত্রের মহড়া নিয়ে খবর প্রকাশের পর দুই সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। আটকরা হল- নজরুল হাওলাদার ও বশির হাওলাদার। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সোমবার মধ্যরাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহম্মদ মইনুল হাসান জানান, ১৩ জানুয়ারি যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানতে পারি টিনু-তুহিন বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। এরই ধারাবাহিকতায় গভীর রাতে আওয়ামী লীগ নেতা শাহাজাদা পারভেজ টিনু এবং তার চাচাতো ভাই তুহিন মৃধার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য নজরুল ও বশিরকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। মঙ্গলবার কলাপাড়া থানা পুলিশ আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে। কলাপাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে বাকিরা আত্মগোপনে চলে গেছে। তবে তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
১৩ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীর আলোচিত টিনু-তুহিন বাহিনীর অস্ত্রের মহড়া নিয়ে খবর প্রকাশের পর দুই সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। আটকরা হল- নজরুল হাওলাদার ও বশির হাওলাদার। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সোমবার মধ্যরাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
সোশ্যাল মিডিয়ার সবকিছু বিশ্বাস করা যাবে না
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার সবকিছুই বিশ্বাস করা যাবে না। কোনটি মিথ্যা, কোনটি গুজব, তা যাচাই-বাছাই করতে হবে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের সমারম্ভ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন। বেনজীর আহমেদ বলেন, ইসলামের নামে দেশে জঙ্গিবাদী অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ইসলামী চিন্তাবিদদের এ বিষয়ে কথা বলতে হবে। কারণ জঙ্গিবাদকে ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। জঙ্গিবাদের দর্শন ইসলামের সঙ্গে যায় না। নবীন শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, তোমাদের হাতেই আগামী দিনের বাংলাদেশ। তোমরাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। তোমাদের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। তোমাদের লক্ষ্য হতে হবে ‘গ্লোবাল সিটিজেন’ হওয়া। মাদক এমন একটি জিনিস, যা যুবসমাজের বিকাশ ও সম্ভাবনা ধ্বংস করে দেয়। মাদকের কারণে পরিবেশ ও সমাজ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। এটি আমাদের জন্য অভিশাপ। সিভাসু ভিসি প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিভাসুর মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম নূরুল আবছার খান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল আহাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মেজবাহ উদ্দিন।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার সবকিছুই বিশ্বাস করা যাবে না। কোনটি মিথ্যা, কোনটি গুজব, তা যাচাই-বাছাই করতে হবে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের সমারম্ভ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন। বেনজীর আহমেদ বলেন, ইসলামের নামে দেশে জঙ্গিবাদী অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ইসলামী চিন্তাবিদদের এ বিষয়ে কথা বলতে হবে। কারণ জঙ্গিবাদকে ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। জঙ্গিবাদের দর্শন ইসলামের সঙ্গে যায় না।
আরও ৩২ কর্মচারী পেলেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন মুজিবনগর সরকারের আরও ৩২ কর্মচারী। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ফলে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭০-এ। স্বীকৃতিপ্রাপ্তরা হলেন- ঢাকা ধানমণ্ডির দৌলত আহমেদ ভূঁইয়া, ইস্কাটনের কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, আদাবরের শরীফা খাতুন ও একে হেফাজত উল্লাহ, উত্তরার আবদুল গাফফার চৌধুরী, শান্তিনগরের গৌর গোপাল ঘোষ ও তেজগাঁওয়ের জসিম উদ্দিন। নীলফামারীর জলঢাকার মৃত আবদুল আজিজ বসুনিয়া ও মো. খয়রাত হোসেন, ডিমলার মো. আবদুর রহমান। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের মৃত মো. রফিকুল ইসলাম বসুনিয়া ও কাজি ফায়জুল বারি, হাতীবান্ধার মো. আবদুল জলিল প্রামাণিক। রংপুর সদরের মো. আবদুল মান্নান, মৃত মোহাম্মদ আলী ও রমিজ উদ্দিন আহমেদ। আরও স্বীকৃতি পেয়েছেন, দিনাজপুর সদরের মৃত হাফিজ উদ্দীন আহাম্মদ, ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার নিরঞ্জন ভৌমিক, খাগড়াছড়ি রামগড়ের সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীর মো. আলতাফ হোসেন, পাবনা সুজানগরের মো. ইউসুফ আলী ও চট্টগ্রাম রাউজানের রনজিৎ কুমার সেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ার মো. আবু তাহের, সদরের মো. খলিলুর রহমান মোল্লা, নওগাঁ সদরের অমূল্য রঞ্জন দাস, গোপালগঞ্জ মুকসুদপুরের মো. আবদুল হাসেম মিয়া, মৌলভীবাজার ভাদুঘরের রংগলাল সেন, হবিগঞ্জ চুনারুঘাটের সত্যেন্দ্র কুমার দেব, কুমিল্লা কোতোয়ালির সুজিত কুমার রায়, গাইবান্ধা সদরের মো. শাহ আলম, নড়াইল সদরের নৃপেন্দ্র নাথ মজুমদার ও ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর মো. জয়নাল আবেদীন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার বা মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু হলেও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মুক্তিবাহিনী সংগঠন ও সমন্বয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় এবং যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহায়তাকারী রাষ্ট্র ভারত সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রক্ষায় এই সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন মুজিবনগর সরকারের আরও ৩২ কর্মচারী। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ফলে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭০-এ।
১ এপ্রিল থেকে সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ দেয়া সম্ভব
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ব্যবসায়ীদের সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশির ভাগই ব্যাংকব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। অর্থনীতি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, জনগণের অবস্থার উন্নয়নে সরকার সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ১ এপ্রিল থেকে ব্যবসায়ীদের সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ দেয়া সম্ভব হবে।’ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই কথা বলেন। গভর্নর বলেন, ‘বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও গ্যাস সংযোগ অথবা ব্যাংক ঋণ প্রভৃতি সেবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পাওয়ার কারণে কোনো উদ্যোক্তা যদি ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ হন, সেটি বিশেষ বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।’ তবে সত্যিকারের ঋণখেলাপি চিহ্নিতকরণে ব্যাংকগুলোর যত্নবান হওয়া আবশ্যক বলে মত দেন তিনি। ফজলে কবির আরও বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং দেশের ব্যবসায়ী সমাজ এই সুযোগ গ্রহণ করে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহার করেছে, যা বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’ দেশে একটি সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট চালু একান্ত জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও কাক্সিক্ষত মাত্রায় বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এজন্য ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চ হার অন্যতম প্রধান কারণ।’ বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটানোর জন্য ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এসকে সুর চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই পরিচালক আন্দালিব হাসান, আরমান হক, নূহের লতিফ খান এবং ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এনকেএ মবিন, পরিচালক দীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন, মনোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জোহা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ব্যবসায়ীদের সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশির ভাগই ব্যাংকব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। অর্থনীতি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, জনগণের অবস্থার উন্নয়নে সরকার সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ১ এপ্রিল থেকে ব্যবসায়ীদের সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ দেয়া সম্ভব হবে।’
কলেজছাত্রীসহ সড়কে নিহত ৮
বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ ব্যবসায়ী, খুলনার পাইকগাছায় কলেজছাত্রী, বান্দরবানের লামায় যুবক, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বৃদ্ধ, ভোলায় ও পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ১ জন করে এবং পাবনায় সাবেক পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ নিয়ে ২৫৮ দিনে প্রাণ গেল ২০৬৪ জনের। স্টাফ রিপোর্টার, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- রাজধানী : রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আ. কাদের (৪২) ও ফকিরাপুল এলাকায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ওষুধ ব্যবসায়ী আ. জলিল (৩৮) নিহত হন। তারা দু’জনই মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন। আ. কাদেরের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়। বাবার নাম রওশন আলী। আ. জলিলের বাড়ি শরীয়তপুর ভেদেরগঞ্জ উপজেলার বালাকান্দি গ্রামে। পাইকগাছা (খুলনা) : পাইকগাছায় বান্ধবীর বাবার লাশ দেখে ফেরার পথে লাশ হয়ে হলেন বয়রা মহিলা কলেজের ছাত্রী আরিফা খাতুন (২০)। তিনি উপজেলার গজালিয়া গ্রামের আ. বারিক সরদারের মেয়ে। সোমবার বান্ধবীর বাবা পুরাইকাটী গ্রামের মিয়াদ আলী মারা যান। তাকে দেখতে এসে সন্ধ্যায় ইজিবাইকে বাড়ি ফেরার পথে সরল বাজারে বাইকটি উল্টে যায়। লামা (বান্দরবান) : লামা উপজেলার লামা-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা এলাকায় ঘন কুয়াশায় পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত মো. শরিফ (২৫) আলীকদম সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা নূরুল হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় এ উপজেলার লামা-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) : জগন্নাথপুর-পাগলা-সুনামগঞ্জ সড়কে মোটরসাইকেলচাপায় বৃদ্ধ উছরত উল্লা (৮০) খাশিলা গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় ওই সড়কের কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভোলা : ভোলার বঙ্খালী ব্রিজ এলাকায় ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত মো. তৈয়ব (৪০) লালমোহন উপজেলার চরভূতা এলাকার কাসেমের ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৌলতখান উপজেলার ভোলা-চরফ্যাশন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) : ইন্দুরকানীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহত মোশররফ হাওলাদার (৪০) সোমবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কলার গ্রামের হোসেন আলী হাওলাদারের ছেলে। পাবনা : সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাবেক পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (৮০) মারা গেছেন। রোববার বিকালে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গৌরনদী (বরিশাল) : বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে মঙ্গলবার গৌরনদী ফায়ার স্টেশনের কাছে মাহিন্দ্রার চাপায় ৬ যাত্রী আহত হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ ব্যবসায়ী, খুলনার পাইকগাছায় কলেজছাত্রী, বান্দরবানের লামায় যুবক, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বৃদ্ধ, ভোলায় ও পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ১ জন করে এবং পাবনায় সাবেক পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ নিয়ে ২৫৮ দিনে প্রাণ গেল ২০৬৪ জনের। স্টাফ রিপোর্টার, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
খতিয়ে দেখা হচ্ছে মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি
পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ এবং দোহাজারী-ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্সের সভা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজ। এ বৈঠকে পর্যালোচনা করে অগ্রগতি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে। ১৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির সভা। ওই সভায় প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরা হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ মঙ্গলবার যুগান্তরকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে যে বৈঠকটি হবে, সেটিই হচ্ছে ফাস্টট্র্যাকের জন্য মূল মূল্যায়ন কমিটি। ওই কমিটিতে প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য আজ বুধবার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে মেগা প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে তদারকি বেড়েছে। ফলে এসব প্রকল্পের গতি বেড়েছে। আশা করছি, এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুতই হবে। সোমবার সংশ্লিষ্টদের কাছে ইআরডি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বুধবার অনুষ্ঠেয় ফাস্টট্র্যাক টাস্কফোর্সের সভায় প্রধানত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। একটি হচ্ছে ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পগুলোর পটভূমি ও বাস্তবায়নবিষয়ক সাধারণ আলোচনা এবং অন্যটি হচ্ছে ১৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির পঞ্চম সভায় উপস্থাপনের জন্য তৈরি করা স্লাইড চূড়ান্তকরণ। সূত্র জানায়, মূল পদ্মা সেতুর কাজ বাকি রয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ। গত আগস্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ। তবে মূল সেতুর নির্মাণকাজ হয়েছে ৮৩ শতাংশ। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অগ্রগতি সাড়ে ১৮ শতাংশ, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রর ৪১ দশমিক ২১ শতাংশ, মেট্রোরেল ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের ৫৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২৬ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং দোহাজারী-ঘুমধুম পর্যন্ত রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ২৯ শতাংশ। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর অনুকূলে ব্যয় হয়েছে (ক্রমপুঞ্জিত ব্যয়) ৭৯ হাজার ৫৮৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৭ হাজার ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৪২ হাজার ৩৮০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এর আগে তৈরি করা ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ : প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগস্ট পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৮৭৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের নদীশাসন কাজ ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে। এছাড়া জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড এবং সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র : দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২০ হাজার ৯২৪ কোটি ৮৯ টাকা। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র : ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়ন ও সহযোগিয়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত এটি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। মেট্রোরেল : এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কাটি টাকা। আগস্ট পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭ হাজার ৭৬৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর : প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা। প্রকল্পটিকে ১৯টি কম্পোনেন্টে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প : এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৯ হাজার ৫২৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ : প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক : প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ১১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ এবং দোহাজারী-ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্সের সভা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজ। এ বৈঠকে পর্যালোচনা করে অগ্রগতি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে। ১৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির সভা। ওই সভায় প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরা হবে।
মধুমতি ব্যাংকের ৭৭তম সভা অনুষ্ঠিত
মধুমতি ব্যাংক পিএলসির ৭৭তম পর্ষদ সভা গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। জুম প্রযুক্তি সহায়তায় অনুষ্ঠিত এই সভায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর, পরিচালনা পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ সালাহ্উদ্দিন, এমপি, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।  আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, সালাউদ্দিন আলমগীর, মোস্তফা কামাল, তানজিমা বিনতে মোস্তফা, সুলতানা জাহান, এ মান্নান খান, ফেরদৌসি ইসলাম, দিদারুল আলম, সৈয়দা শারমিন হোসেন, তানভীর আহমেদ মোস্তফা, স্বতন্ত্র পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিউল আজম ।
মধুমতি ব্যাংক পিএলসির ৭৭তম পর্ষদ সভা গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। জুম প্রযুক্তি সহায়তায় অনুষ্ঠিত এই সভায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর, পরিচালনা পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ সালাহ্উদ্দিন, এমপি, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও বাকি ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ আকারে দেওয়া হবে। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হওয়া সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য এ লভ্যাংশ দেবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে নিয়ম অনুযায়ী আজ ব্যাংকটির শেয়ারের দামের উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সীমা আরোপ থাকছে না। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ হিসাববছরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা, যা ২০২২ সালে ছিল ১ টাকা ৯০ পয়সা। সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা। এটি ২০২২ সালে ছিল ১৯ টাকা ২৪ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সা, যা এর আগের বছর ছিল ঋণাত্মক ১ টাকা। মূলত আগের বছরের তুলনায় আমানত ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নগদ প্রবাহ বেশি হওয়ার কারণে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ বেড়েছে বলে জানায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করবেন। এ জন্য আগামী ১৯ মে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও বাকি ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ আকারে দেওয়া হবে।
সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রসারে এআইইউবি সিএস ফেস্ট
শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সৃজনশীলতার প্রসারের লক্ষ্যে ২৬ এপ্রিল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে উদ্ভোধন হয়ে গেল অফিস অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স কর্তৃক আয়োজিত ‘এআইইউবি সিএস ফেস্ট ২০২৪’, যার সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিল এআইইউবি কম্পিউটার ক্লাব। কেক কাটার মাধ্যমে ফেস্টের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মো. ইস্তিয়াক আবেদীন (প্রতিষ্ঠাতা সদস্য  বোর্ড অফ ট্রাস্টি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), নাদিয়া আনোয়ার (প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট, অফিস অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ (সাবেক সচিব, আইসিটি বিভাগ ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হাই-টেক পার্ক, সিইও গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র, এফবিসিসিআই)। আরও উপস্থিত ছিলেন, মো আব্দুর রহমান, (প্রো-ভাইস চ্যানচেলর, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে)। ড. মো. জাহিদুল ইসলাম খান (রেজিস্ট্রার, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ)। উপস্থিত ছিলেন, এস.এ.এম. মনজুর এইচ খান (পরিচালক অফিস অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স)। অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, মো. মসিউর রহমান(সিনিয়র প্রফেসর, ডীন, ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ), প্রফেসর ড. দীপ নন্দি (অ্যাসোসিয়েট ডীন,ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি), অভিজিৎ ভৌমিক(অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর,কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট,অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ) এবং সম্মানিত শিক্ষককৃন্দ। এরপর অতিথি বৃন্দ প্রতিযোগীদের তৈরী বিভিন্ন সায়েন্স প্রজেক্ট দেখেন, তাদের উদ্ভাবনী প্রতিভার প্রশংসা করেন এবং তাদের আরো উৎসাহিত করেন।  বিগত বছরগুলোর শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও সফলতার ধারাবাহিকতায় এবারও আইসিটি ও ম্যাথ অলিম্পিয়াড,রোবোট সকার,ড্রোন রেসিংসহ  আরও আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতার সংযোজনে সাজানো হয়েছে ‘এআইইউবি সিএস ফেস্ট ২০২৪’ এবং সাথে থাকছে অনেক নতুন চমক। দেশের সকল স্কুল, কলেজ  থেকে প্রায় হাজারের বেশী শিক্ষার্থী তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রতিভা প্রদর্শনের এই উন্মুক্ত মঞ্চে  অংশ নিচ্ছেন। ফেস্ট এর সার্বিক সহযোগিতায় সিলভার পার্টনার হিসেবে রয়েছে ব্রেইন স্টেশন-২৩ আরো রয়েছে থেরাপ (বিডি) লিমিটেড।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, উদ্ভাবনীপ্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সৃজনশীলতার প্রসারের লক্ষ্যে ২৬এপ্রিল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে উদ্ভোধন হয়ে গেল অফিস অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স কর্তৃক আয়োজিত ‘এআইইউবি সিএস ফেস্ট ২০২৪’, যার সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলএআইইউবি কম্পিউটার ক্লাব।