content
stringlengths 0
129k
|
---|
রোগ নিয়ন্ত্রণ ( ) |
এই গাছের মূলত পাতা পোড়া এবং পাতায় গল রোগ দেখা যায় |
ছত্রাকের কারণে এই পাতা পোড়া রোগ হয়ে থাকে তেজপাতা গাছের |
কচি পাতায় প্রধানত এই রজার প্রাদুর্ভাব দেখা যায় |
তেজপাতায় এই রোগ দেখা দিলে, জলে টিল্ট মিশিয়ে গাছে স্প্রে করা উচিত |
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন |
বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের একমাত্র পন্থা জৈব কৃষিকাজ |
নিজস্ব প্রতিনিধি |
বর্তমান আধুনিক যুগে যেমন জনসংখ্যা বাড়ছে তেমন বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা | এই ব্যাপক চাহিদাপূরণের জোগান বাড়াতে ফসল উৎপাদন হচ্ছে কৃত্রিম উপায়ে | কার্বাইডে পাকানো ফল, হাইব্রিড শাক-সব্জি, ব্রয়লার মুরগি ইত্যাদি | এই কোনো কিছুই আদতে আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয় | অতিরিক্ত ফলন বাড়াতে দিনের পর দিন ক্ষতিকর পেস্টিসাইডসের বহুল ব্যবহার বাড়ছে |
ফলত, খাবারের এই কৃত্রিমতায় পুষ্টিগুণ কমছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর| তাই, কৃষিকাজে আবারও অগ্রগতি হয়ে দাঁড়াচ্ছে জৈব কৃষি বা অর্গ্যানিক ফার্মিং | এই জৈবিক কৃষিকাজে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকবন্ধুদের মধ্যে | |
জৈব কৃষিকাজ কি ( )? |
কোনও রকম কৃত্রিম ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করে জৈব পন্থা অবলম্বন করে চাষবাস, ফলনই হল অর্গ্যানিক ফার্মিং |
রোজকার আনাজপাতি, মাছ-মাংস, ডিম-দুধ সবই উৎপাদিত হতে পারে অর্গ্যানিক উপায়ে |
সবচেয়ে বেশি চাহিদা অর্গ্যানিক উপায়ে চাষ করা ফল, আনাজ, হার্ব, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, মধু ইত্যাদির |
যেহেতু কোনও রাসায়নিক স্যারের ব্যবহার নেই, তাই সার বানাতে হবে প্রাকৃতিক উপায়ে |
অর্গ্যানিক ফার্মিংয়ের ভিত কিন্তু সারের উপরেই |
ফার্মের পশু-পাখির বিষ্ঠা শুকিয়ে তা দিয়েই মূলত তৈরি হয় জৈব সার |
এ ছাড়াও কচুরিপানা খুব ভাল সারের কাজ করে |
তাই গাছের গোড়ায় কচুরিপানাও দেওয়া হয়ে থাকে |
মাটি ছাড়া শুধু কচুরিপানা জমিয়েও তাতে করে ফেলা যায় পেঁপে গাছ |
এই জৈব সারই হলো গাছের ফলন বৃদ্ধির আসল চাবিকাঠি | মাটির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয় কেঁচোকেও |
গাছের গোড়ায় যাতে অক্সিজেন পৌঁছায়, তার জন্য খুরপি দিয়ে মাটি খুঁড়ে দেওয়া হয় |
কিন্তু কেঁচো নিজেই এই কাজটা করে দেয় |
গাছে পোকা লাগলেও নষ্ট হয় আনাজপাতি |
অর্গ্যানিকে কিন্তু পেস্টিসাইড চলবে না |
তাই ব্যবহার করা হয় নিম তেল |
গোমূত্রও ব্যবহার করা হয় কীটনাশক হিসেবে |
ফলে পোকাও ধ্বংস হয়, আবার ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই | |
জৈব কৃষিকাজ পদ্ধতি ( ): |
এই জৈব কৃষির পন্থাকে কাজে লাগিয়ে শাক-সব্জি, আনাজ, মাছ, মাংস প্রায় সব উৎপাদিত হয় | যেমন, |
শাক (): |
কুলেখাড়া,ধনে, নটে, লাল নটে, ব্রাহ্মী, গুলঞ্চ, কালমেঘ, পুদিনাও চাষ করা যেতে পারে এই উপায়ে |
একসঙ্গে একাধিক হার্ব চাষ করা হয় সারি হিসেবে |
এতে হার্ব তুলতে সুবিধে হয় |
ব্রাহ্মী, কুলেখাড়া চাষ করা যায় জলেই |
প্রথমে ছোট পাত্রে এবং পরে গাছ বড় হলে তা তুলে বড় পাত্রে রাখা হয় |
এই গাছ থেকে তৈরি করা হয় নানা ভেষজ ঔষধ | |
সব্জি (): |
একই জমিতে বছরে ২ বার, তিন বার ভিন্ন ফসল চাষ করা হয় |
ধান তোলা হয়ে গেলে সেই জমিতেই চাষ হয় তৈলবীজ যেমন সর্ষে, সূর্যমুখী, তিল ইত্যাদি |
আবার সরষে তোলার পরে ও ধান গাছ লাগানোর আগে করা হয় তিল চাষ |
বাঁধাকপি, ফুলকপি চাষের ক্ষেত্রে জায়গা বেশি লাগে |
কারণ প্রত্যেকটি চারা বা বীজের মাঝে ব্যবধান হবে এক হাত |
আবার মুলোর সঙ্গে চাষ করা হয় লাল নটে শাক |
মাটিতে চাষের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেনের জোগান বাড়ে |
কুমড়ো, পেঁপে, লাউ, বেগুনের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে হবে আনাজ বড় হওয়া পর্যন্ত |
সাধারণত, জৈবিক উপায়ে ফলনের বৃদ্ধি হতে একটু দেরি হওয়ায় ধৈর্য রাখতে হবে, তবে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত সব্জি উৎপন্ন হয় | |
পোল্ট্রি (): |
কোয়েল, মুরগি থেকে শুরু করে গরু প্রতিপালনও করা যায় এখানে |
মুরগি ২ টি ভাগে প্রতিপালন করা হয় |
একটি ডিমের জন্য, অন্যটি মাংসের জন্য |
কোয়েলের ক্ষেত্রেও তাই |
অর্গ্যানিক দুধের চাহিদা প্রচুর |
আবার গরুর দুধ থেকে ঘি, মাখন যেমন তৈরি করা যায়, তেমনই গোবর ব্যবহার করা হয় জৈব সার তৈরি করতে এবং গোমূত্র কীটনাশক হিসেবে |
মাছ ( ): |
পুকুরেই চাষ করা হয় তেলাপিয়া, রুই, কাতলা, কই ইত্যাদি মাছ |
পানাও ছড়িয়ে থাকে পুকুরের উপরে যাতে তারা খাবার পায় |
অন্য দিকে আলাদা পুকুরে চাষ করা হয় চিংড়ির |
জিওল মাছ বা বড় মাছ ধরা হয় বেড় জালে |
জৈব কৃষিকাজে বর্জ্যের ব্যবহার ( ): |
অর্গ্যানিক চাষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল বর্জ্যের ব্যবহার |
জৈব বর্জ্য সহজেই প্রকৃতিতে মিশে যায় |
ফলে তা দিয়ে সার তৈরিও সহজ |
কিন্তু শহরাঞ্চলে বর্জ্যের অনেকটাই প্লাস্টিক, সে ক্ষেত্রে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট জরুরি |
এমন অনেক সংস্থা আছে, যারা প্রত্যেক দিন বর্জ্য সংগ্রহ করে |
তার পরে তা থেকে কৃত্রিম এবং প্রাকৃতিক বর্জ্য পৃথক করা হয় |
প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য আলাদা করে তা হস্তশিল্পের কাজে লাগানো হয় |
অন্য দিকে কিচেন ওয়েস্ট অর্থাৎ আনাজপাতির খোসা, মাংসের ছাঁট ইত্যাদি পচনশীল বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস এবং সার তৈরি করা হয় |
আবার, এই সার চলে যায় বিভিন্ন অর্গ্যানিক ফার্মে |
বাড়িতে কিভাবে জৈবিক উপায়ে চাষ করা যায় ( ): |
বাড়িতেই খুব সময় উপায়ে অর্গ্যানিক চাষ করে সব্জি উৎপাদন ( ) করতে পারেন | এই চাষের জন্য স্বল্প জায়গা ও জলের ব্যবহার প্রয়োজন |
বড় ড্রামের গায়ে সমান ব্যবধানে চৌকো করে চিরে নিন |
প্রত্যেকটি চেরা জায়গায় একটি করে চারা লাগান |
একটি ড্রামেই জন্মাবে একাধিক গাছ |
আবার, উল্লম্ব ভাবে একের পর এক ট্রে বা টবে চাষ করতে পারেন থানকুনি, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা | বাড়ির বর্জ্য থেকে সার তৈরি করে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন |
ফলে, আপনার বাড়ির বর্জ্য নষ্ট হবেনা আবার সব্জিও উৎপাদন হবে | |
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন |
অ্যারোপোনিক্স উপায়ে সব্জি চাষে দারুন লাভ |
নিজস্ব প্রতিনিধি |
হাইড্রোপনিক্স উপায়ে ( ) সব্জি চাষ প্রায় অনেকেই জানেন | কিন্তু, আপনি কি জানেন অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতিতে চাষাবাদ কি? অনেকেই ভেবে থাকেন এই দুই পদ্ধতি এক | আপাত দৃষ্টিতে এক লাগলেও, আছে সামান্য পার্থক্য | এই দুটি উপায়েই মাটি ছাড়া সব্জি চাষ সম্ভব | হাইড্রোপনিক্স উপায়ে মাটি ছাড়া জলের সাহায্যে বেড়ে ওঠে উদ্ভিদ এবং অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতিতে জলের পরিমান কম থাকে ও বাতাসের মাধ্যম উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটে | এই দুর্দান্ত কৌশলে সবজি চাষ করে আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হওয়া যায় | যেখানে মাটির ঝামেলাও নেই আবার স্বল্প জল ব্যবহৃত হয়| |
তবে, জেনে নিন অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতির খুঁটিনাটি; |
অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতি কি ( )?- |
প্রধানত, এটি হলো উদ্ভিদের শিকড়কে বাতাসে প্রকাশ করে উদ্ভিদের চাষাবাদ প্রক্রিয়া | এই পদ্ধতিতে একটি উচ্চ-চাপযুক্ত, পুষ্টিকর সমৃদ্ধ কুয়াশা গাছগুলিকে খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এবং শিকড়কে আরও সুষম জল, পুষ্টি এবং অক্সিজেন পরিপূরক সরবরাহ করে |
উদ্ভিদগুলি কোনোরকম স্তর ব্যবহার না করেই জন্মায় | |
অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে? |
সাধারণত, এখানে বায়ুবিদ্যার নীতিকে কাজে লাগিয়ে চাষ করা হয় | তাই. বায়ুবিদ্যার মৌলিক নীতিটি হলো ঝুলন্ত উদ্ভিদ প্রজাতির বর্ধিত বা অর্ধ-উন্মুক্ত উদ্ভিদের ঝুলন্ত শিকড় ও তার কাণ্ডের নিচের অংশ জলের দ্রবণে নিমজ্জিত থাকে | এটি সম্পূর্ণ একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া | বৃহত্তর উদ্ভিদের জন্য, আপনি গাছপালা এবং ফলের ওজনকে সমর্থন করতে কিছু ধরণের ট্রেলিস বা অন্য ধরণের উল্লম্ব সমর্থনও ব্যবহার করতে পারেন |
অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতিতে সব্জি চাষ ( ): |
এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার ছাদ-বাগানে খুব সহজেই শাক-সব্জি, ফল-মূল চাষ করতে পারেন | সম্পূর্ণ বিষমুক্ত সব্জি উৎপাদন হয় | এখানে কোনো রাসায়নিক স্যারের ব্যবহার হয়না | মাটির পরিবর্তে নুড়ি, পাথর নেওয়া হয় | লাউ, কুমড়ো, টমেটো প্রায় সব সব্জি চাষ করা হয় এই পদ্ধতি অবলম্বনে | মাছের চাষের সময় যে বর্জ্য উৎপাদিত হয় তা পাইপের মাধ্যমে চলে আসে সব্জি চাষের মধ্যে | এটাই সব্জির খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় | |
এই পদ্ধতিতে কোনো কিছুই নষ্ট হয়না | অনেক কৃষকরাই এই পদ্ধতিতে চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন | একই সময়ে, বায়বীয় যন্ত্রপাতি নিজেই একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এটি মাটি বিহীন এবং শুধুমাত্র সংক্ষিপ্ত সমর্থন কাঠামো অন্তর্ভুক্ত |
উদ্ভিদ এবং সহায়তার মধ্যে একটি ন্যূনতম মিথস্ক্রিয়া ফলে গাছের 100% বায়ুর সংস্পর্শে আসতে দেয় |
তদতিরিক্ত, হ্রাস করা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা শিকড়গুলির প্রাকৃতিক প্রসারণ বা বিশুদ্ধ জলে তাদের প্রবেশে বাধা দেয় না |
অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতিতে উদ্ভিদের রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: |
এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত শাক-সব্জি সম্পূর্ণ জৈব | প্রধানত, এই পদ্ধতিতে চাষ রোগজীবাণু অনেকটাই কম হয় |উদ্ভিদ থেকে উদ্ভিদ যোগাযোগের পদ্ধতি প্রকৃতির দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ থাকে যার থেকে রোগজীবাণু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ |
এ্যারোপোনিক্সের কোনও সমস্যা নয় কারণ অন্যের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে আগে সংক্রামিত উদ্ভিদটি সমর্থন কাঠামো থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায় |
তার উপরে, প্রয়োজনে বাষ্পীকরণের প্রতিটি নাড়ি জীবাণুমুক্ত হতে পারে |অ্যারোপোনিকস এক নতুন ধরণের জৈব চাষের জন্ম দেয় যা সম্ভবত ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ | |
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন |
বাঁশ চাষে আপনিও হতে পারেন কোটিপতি, জেনে নিন সম্পূর্ণ পদ্ধতি |
নিজস্ব প্রতিনিধি |
বাঁশ একটি সপুষ্পক, স্থায়ী এবং চিরসবুজ উদ্ভিদ, যা এর ঘাস পরিবারের অন্তর্গত |
এটি একটি বহুমুখী, শক্তিশালী, পুনর্নবীকরণযোগ্য | সেইসাথে পরিবেশ বান্ধব উপাদান যা সহজেই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে চাষ করা যায় |