author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
খন্দকার আতিক | education | শিক্ষা | ১০ জুলাই ২০১৬, ০০:৩০ | ১০ জুলাই ২০১৬, ০০:৩৬ | পড়াশোনা | 0 | বাংলা ১ম পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/909574 | বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা ১ম পত্র থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরের নমুনা দেওয়া হলো। সেই ছেলেটি১. আরজু তার বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যেতে যেতে বসে পড়ে কেন?ক. সে স্কুলে যেতে চায় নাখ. স্যার তাকে বকুনি দিতে পারেনগ. তার স্কুল ফাঁকি দেওয়ার ইচ্ছা ছিলঘ. রোগের কারণে সে হাঁটতে পারে না২. ‘মা বোঝেন কিন্তু কাঁদেন’—আরজুর মা কী বোঝেন?ক. ছেলের পা চিকন হয়ে যাচ্ছেখ. ছেলের পা একদিন পঙ্গু হয়ে যেতে পারেগ. ছেলের পায়ের কোনো চিকিত্সা হচ্ছে নাঘ. আরজুর মা অসহায়৩. রেবেকা ও ‘সেই ছেলেটি’র আরজু কোন ধরনের শিশু?ক. স্বাভাবিক খ. পুষ্টিহীনগ. সুবিধাবঞ্চিত ঘ. বুদ্ধিহীন৪. আরজুর বন্ধুদের নাম কী?ক. হারু ও মিঠু গ. লতিফ ও সাবুগ. মোমেন ও লতিফ ঘ. সাবু ও সোমেন৫. সাবু, সোমেন, আরজু কীভাবে স্কুলে যাচ্ছিল?ক. দুষ্টুমি করতে করতেখ. গান গাইতে গাইতেগ. কথা বলতে বলতেঘ. খেলতে খেলতে৬. আরজুর ব্যথা কোথায়?ক. পায়ে খ. কোমরেগ. কবজিতে ঘ. ঘাড়ে৭. কী হলো আরজু মিয়া, তুমি এখানে বসে কী করছ?—সংলাপটি কার?ক. আরজুর বন্ধু সাবুরখ. লতিফ স্যারেরগ. আইসক্রিমওয়ালারঘ. হাওয়াই মিঠাইওয়ালার৮. স্কুল ফাঁকি দেওয়া কিন্তু খুব খারাপ—কার কথা?ক. আইসক্রিমওয়ালারখ. হাওয়াই মিঠাইওয়ালারগ. আরজুর মায়েরঘ. লতিফ স্যারের৯. আরজু কী খেতে চায়?ক. আইসক্রিম খ. চকলেটগ. রুটি ঘ. ভাত১০. আরজু স্কুলে না আসায় লতিফ স্যার কী মনে করলেন?ক. হাসলেন খ. অভিমান করলেনগ. চিন্তিত হলেন ঘ. খুব রেগে গেলেন১১. টিফিন পিরিয়ডে ছেলেমেয়েরা কী করছিল?ক. দৌড়াচ্ছিল খ. খেলছিলগ. পড়ছিল ঘ. গান গাইছিল১২. আরজুর অসুখের কথা কে জানেন?ক. আইসক্রিমওয়ালা খ. আরজুর বন্ধুগ. আরজুর শিক্ষক ঘ. আরজুুর মা১৩. আরজুর মা কাঁদেন কেন?ক. বন্ধুরা আরজুকে সাহায্য করে না বলে খ. আরজুর পা চিকন হয়ে যাচ্ছে বলেগ. স্কুলের বেতন দিতে পারেন না বলেঘ. আরজু ফেল করবে বলে১৪. লতিফ স্যার আরজুকে স্কুলে নিয়ে গেলেন কেন?ক. খেলার জন্য খ. খাওয়ানোর জন্যগ. শাস্তি দেওয়ার জন্য ঘ. চিকিত্সার জন্য১৫. আরজু পলাশতলীর আমবাগানে বসে আছে কেন?ক. বেশি হাঁটতে পারে না বলেখ. পড়া শেখেনি বলেগ. আম খাওয়ার জন্যঘ. স্কুল ফাঁকি দেওয়ার জন্য১৬. আরজু কোন ধরনের প্রতিবন্ধী—ক. দৃষ্টি খ. শারীরিক গ. শ্রবণ ঘ. বুদ্ধি১৭. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার প্রধান চরিত্র কোনটি?ক. লতিফ স্যার খ. আরজুগ. আইসক্রিমওয়ালাঘ. মিঠু১৮. নাটকের ঘটনাস্থলকে কী বলা হয়?ক. দৃশ্য খ. পর্বগ. স্থান ঘ. অঙ্ক১৯. ‘সেই ছেলেটি’ কোন ধরনের রচনা—ক. নাটক খ. নাটিকা গ. গল্প ঘ. প্রবন্ধ২০. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার রচয়িতা কে?ক. মামুনুর রশীদ খ. আতিকুর রহমানগ. আবদুল্লাহ আল-মামুনঘ. সৈয়দ শামসুল হক২১. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রতি কী প্রকাশ পেয়েছে?ক. শাসন খ. সহানুভূতিগ. অবহেলা ঘ. অবজ্ঞা২২. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার কয়টি ঘটনাস্থল?ক. চারটি খ. তিনটি গ. দুটি ঘ. একটি২৩. ‘ওরা কদম আলী’ কার লেখা?ক. আমিনুল ইসলামেরখ. আবদুল্লাহ আল-মামুনেরগ. সৈয়দ শামসুল হকেরঘ. মামুনুর রশীদের২৪. মামুনুর রশীদ কবে জন্মগ্রহণ করেন?ক. ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে খ. ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দেগ. ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দেসঠিক উত্তরটি মিলিয়ে নাওবাংলা ১ম পত্রসেই ছেলেটি১. ঘ ২. খ ৩. গ ৪. ঘ ৫. খ ৬. ক ৭. গ ৮. ক ৯. ক ১০. গ ১১. খ ১২. ঘ ১৩. খ ১৪. ঘ ১৫. ক ১৬. খ ১৭. খ ১৮. ক ১৯. খ ২০. ক ২১. খ ২২. খ ২৩. ঘ ২৪. কশিক্ষক, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা | 238,956 |
কাজী এস হোসেন | life-style | জীবনযাপন | ১৬ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৪৬ | ১৬ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৪৭ | আপনার রাশিফল,রাশিফল | 0 | আপনার রাশিফল | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/193465 | আজ ১৬ এপ্রিল। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি মেষ রাশির জাতক-জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৭ ও ৯। গুরুত্বপূর্ণ দিন সোম ও মঙ্গলবার। শুভ রং—হালকা সবুজ, বাদামি ও ধূসর। শুভ রত্ন—অ্যাকুয়ামেরিন ও গোমেদ। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—অভিনেতা পিটার উস্তিনভ, চার্লি চ্যাপলিন ও সাংবাদিক আবেদন খান। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। প্রেমবিষয়ক জটিলতার অবসান হবে। ফাটকা ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বিদেশে অধ্যয়নের সুযোগ পেতে পারেন, ব্যবসায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হতে পারে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য আপনার প্রেমিক মনকে উসকে দিতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। পরিবারের কারও অসুস্থতা আপনাকে ভাবিয়ে তুলতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সাফল্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। আজ আপনার অর্থভাগ্য বিশেষ শুভ। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। আপনার প্রেমিক মন আজ তার ঠিকানা খুঁজে পাবে।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায় ঝুঁকি গ্রহণ করে লাভবান হতে পারেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। পাওনা আদায়ে সফল হবেন। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুন।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)ব্যবসায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। বেকারদের কেউ কেউ খণ্ডকালীন চাকরির খোঁজ পাবেন। প্রেমের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)কর্মস্থলে বসদের কেউ কেউ আজ আপনার কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন। কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে পারেন। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য আপনার প্রেমিক মনকে উসকে দিতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া কোনো সুসংবাদ দিয়ে। পাওনা আদায় হবে। ই-মেইলে পাওয়া একাধিক প্রেমের প্রস্তাব আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে। সৃজনশীল কাজের জন্য প্রশংসিত হবেন।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন। রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)ব্যবসায় নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। কেকারদের কেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশযাত্রায় সফল হবেন। কোনো পুরোনো স্মৃতি আপনাকে আবেগপ্রবণ করে তুলতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ। | 66,137 |
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:০৯ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:০৯ | বিশাল বাংলা | 0 | পিঠা উৎসব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1078067 | লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজ ক্যাম্পাসে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে দুই শতাধিক প্রকারের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সাংসদ মোহাম্মদ নোমান। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র এ বি এম জিলানীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার, রামগতি আ স ম আবদুর রব কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দিলীপ কুমার, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। | 292,285 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৪ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৬ | এশিয়া | 0 | তিব্বতবিষয়ক মার্কিন দূতকে স্বীকৃতি নয়: চীন | http://www.prothom-alo.com/international/article/155080 | তিব্বতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগ দেওয়া বিশেষ সমন্বয়কারীকে কখনো স্বীকৃতি দেবে না চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার বলেছে, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যেকোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে চীন। তিব্বতের নির্বাসিত নেতা দালাই লামার সঙ্গে গত শুক্রবার বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চীনের সরকার ওই বৈঠকের নিন্দা জানিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে পরিচিত দালাই লামা বা তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিঃশর্ত আলোচনা আবার শুরু করতে গত শুক্রবার চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে এ ধরনের আলোচনার জন্য সারাহ সেওয়াল নামের একজন কর্মকর্তার নাম ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি তিব্বতবিষয়ক বিশেষ সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করবেন বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।যুক্তরাষ্ট্রের ওই উদ্যোগের জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, তথাকথিত তিব্বত সমস্যার ব্যাপারে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছে চীন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত বিশেষ দূতকে কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।চীনে ১৯৫৯ সালে একটি ব্যর্থ গণ-আন্দোলনের পর ভারতে পালিয়ে যান দালাই লামা। তাঁকে ‘ভেড়ার পোশাক পরিহিত নেকড়ে’ আখ্যা দিয়ে বেইজিং বলেছে, তিনি সহিংস উপায়ে স্বাধীন তিব্বত প্রতিষ্ঠা করতে চান। তবে দালাই লামা ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তিনি তিব্বতের প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন চান, সহিংসতা নয়। রয়টার্স। | 54,136 |
জাবেদ সুলতান | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৩৪ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪৪ | আই জিনিয়াস | 0 | আলোর ক্যাম্পের আনন্দে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/636625 | কর্মশালার শেষ ক্লাসটি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যারাতেই। কিন্তু ভোররাত চারটায়ও রাজশাহী আই-জেন আবাসিক ক্যাম্পের সেমিনারকক্ষে দেখা মিলল ব্যস্ত ক্যাম্পারদের। আজই ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখেছে ওরা। শুরুতেই প্রিয় স্কুলের ওয়েবসাইট তৈরির সুযোগ।উৎসাহের তোড়জোড় যেন বাড়ছে রাতের সঙ্গে। ভোররাতে অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে নিজেদের কক্ষে পাঠানো হলেও সেখান থেকে ভেসে আসছে গিটারের টুংটাং। এরই মধ্যে চলছে উপস্থাপনের মহড়া; সকালে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের স্কুলকে তুলে ধরতে হবে সবার সামনে। ক্লান্তি যেন বহুদূর। রংপুর থেকে ময়মনসিংহ, সিলেট কিংবা রাজশাহীÑ আলোর ক্যাম্পের উচ্ছ্বাসের চিত্রটা প্রায় একই।আই-জেনের তৃতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় আট অঞ্চলে অংশ নিচ্ছে ৬৪ জেলার সেরা স্কুল দলগুলো। তিন দিনের এই আবাসিক ক্যাম্প থেকে প্রতি অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হচ্ছে একটি জেলা দল। পাঁচজনের ওই স্কুল দলটিই আই-জেনের চূড়ান্ত পর্বে প্রতিনিধিত্ব করবে নিজ অঞ্চলের, নিজ জেলার।শেখার ক্যাম্প, জানার ক্যাম্পআই-জেন ক্যাম্পে মূলত স্কুলপর্যায়ের এই শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির মৌলিক কিছু বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিন দিনে পাঁচটি মূল সেশন থাকছে এতে। এর মধ্যে প্রথম সেশনটি ইন্টারনেটের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে। ইন্টরনেট কী, এটি কীভাবে কাজ করে?—এসব বিষয়ের পাশাপাশি ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় এতে। একটি ই-মেইল কিংবা মেসেঞ্জারের খুদে বার্তা কীভাবে নিমেষেই ময়মনসিংহ থেকে নিউইয়র্ক চলে যাচ্ছে, সেটি রোমাঞ্চিত করছে নেত্রকোনার চিত্রা পাল থেকে মৌলভীবাজারের নাফিজাকে।পরের সেশনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পদচিহ্ন এঁকে যাই’। এই সেশন থেকে উইকিপিডিয়া কিংবা গুগল ট্রান্সলেটে নিজে অবদান রাখতে শিখছে শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় সেশনটি ইন্টারনেটে নিরাপত্তা বিষয়ে। ইন্টারনেটের মুক্ত দুনিয়ায় নিজেকে নিরাপদ রাখার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে এই কিশোর-কিশোরীদের।তবে আই-জেন ক্যাম্পের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ওয়েবসাইট তৈরির প্রশিক্ষণ ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক ধারণার সেশন দুটি। ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রেমওয়ার্কে নিজের মতো কাস্টমাইজ ওয়েবসাইট তৈরি শেখানো হচ্ছে এতে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা তৈরি করছে নিজের স্কুলের ওয়েবসাইট। প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক ধারণা দিতে ক্যাম্পারদের দেওয়া হচ্ছে ‘আওয়ার অব কোড’-এ হাতেখড়ি।এই পাঁচটি মূল বিষয়ে থাকছে আরও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও আলোচনা। শিক্ষার্থীদের জানানো হচ্ছে ডিজিটাল লাইফস্টাইলের সর্বশেষ হালচাল সম্পর্কে। থাকছে শুদ্ধ উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি ও উপস্থাপনা বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। এর বাইরে ক্যাম্পে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে আসছেন বিশিষ্টজনেরা। রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মজার সময় কাটান বিনা পয়সায় বই বিলানো আলোর ফেরিওয়ালা পলান সরকার।রাজশাহীতে আই-জেনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি বিশেষ সেশনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীভ শেঠি, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান ও প্রথম আলোর প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা তানভীর আহমাদ। তাঁদের কাছে সাফল্যের গল্প, স্বপ্ন, প্রস্তুতিসহ অনেক প্রশ্ন ছিল আই-জিনিয়াসদের। সিলেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই ধরনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন গ্রামীণফোনের বিপণন পরিচালক নেহাল আহমেদ।আলোর ক্যাম্পে আনন্দ মেলারংপুর ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিনে মধ্যরাতে চলছে ওয়েবসাইট তৈরির কাজ। হঠাৎ মঞ্চে দেখা গেল দিনাজপুর জিলা স্কুলের মাহফুজ নোবেলকে। প্রিয় গানের সঙ্গে নেচে সবার চোখের ঘুম তাড়িয়ে দিল সে। প্রশিক্ষণের ফাঁকে ফাঁকে নাচে-গানে, গল্প-আড্ডার জমজমাট আয়োজনে এমনই আনন্দময় সময় কাটিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে ক্যাম্পারদের জন্য সবচেয়ে মজার ছিল ক্যাম্পফায়ার। মধ্যরাতে কাঠের আগুন ঘিরে ছিল শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় জমজমাট সাংস্কৃতিক আয়োজন। সবাই কিছু না কিছু করেছে। রংপুরে খালি থলে থেকে টাকা বের করার জাদু দেখিয়েছে পঞ্চগড় সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের আই-জেন দল। সিলেটের ফারহানা আর মৌলভীবাজারের নাফিজার যুগলবন্দী নাচের পরিবেশনায় মুগ্ধ সবাই। এমন নাচ, গান, কবিতা, গল্প আর কৌতুকে তুমুল হাততালি আর উল্লাসে মেতেছিল ক্যাম্পফায়ারের খোলা মাঠ।বিকেলে ছিল খেলার আয়োজন। ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে বাস্কেটে বল ফেলা কিংবা লক্ষ্যে তির ছোড়ার প্রতিযোগিতা সবই ছিল। তবে সবচেয়ে রোমাঞ্চ করছিল গুপ্তধন খোঁজার প্রতিযোগিতা ট্রেজার হান্ট। এখানকার পাঁচটি সমস্যার সমাধান করে তারা পেয়েছে ধাঁধা বোর্ডের পাঁচটি টুকরো। সবগুলো পেয়ে গেলেই মিলে গেছে একটি পূর্ণাঙ্গ ছবি; কখনো বাংলাদেশের মানচিত্র কখনো আই-জেনের লোগো।ক্যাম্পে তৃতীয় দিন নির্ধারিত ছিল দলীয় উপস্থাপনার জন্য। প্রতিটি দল নিজেদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের স্কুলকে তুলে ধরে সবার সামনে। এ ছাড়া প্রতিটি সেশনের পর ছিল পরীক্ষা ও মূল্যায়নের ব্যবস্থা। এ থেকেই একটি দল উঠে আসে চূড়ান্ত পর্বের জন্য। শিগগিরই আট অঞ্চলের সেরা এই দলগুলো নিয়ে শুরু হবে আই-জেনের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। টিভি রিয়েলিটিসহ চমকপ্রদ সব অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।গ্রামীণফোন ও প্রথম আলোর উদ্যোগে আই-জেন আয়োজনে সহযোগী হিসেবে আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সহযোগিতা করছে অ্যালপেনলিবে, মাইক্রোসফট, ওপেরা মিনি, এখানেই ডট কম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, উরি ব্যাংক, রেডিও ফুর্তি ও চ্যানেল আই।সারা দেশে এ বছর আই-জেনে অংশ নিয়েছে দুই হাজার স্কুলের ৮ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী। এখন চলছে আই-জেনের তৃতীয় পর্যায়, তথা আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। আই-জেনের বিস্তারিত জানা যাবে. www.prothom-alo.com/igen এবং www.facebook.com/IGEN এই ঠিকানায়।অঞ্চল: রাজশাহীবিজয়ী স্কুলকুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়বিজয়ী দলের সদস্য১. নুসরাত ইমরোজ২. আনিকা হোসেন৩. নহলি আকাশলীনা৪. সাজিয়া ফারজানা৫. তাসমিয়া তাবাসসুমক্যাম্প:রাজশাহীর ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার, ১০–১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫অংশগ্রহণকারী স্কুলঅংশগ্রহণকারী ৯টি স্কুলের মধ্যে রয়েছে গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বগুড়া ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাটোর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।অঞ্চল: সিলেটবিজয়ী স্কুলহবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়বিজয়ী দলের সদস্য১. আবির হাসান২. ইশতিয়াক আহমেদ পরাগ৩. আহমেদ জোহান৪. প্লাবন তালুকদার৫. ইকবাল হোছাইনক্যাম্প:সিলেট ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার,১০–১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫অংশগ্রহণকারী স্কুলঅংশগ্রহণকারী ৭টি স্কুলের মধ্যে রয়েছে, ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি এসসি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, দ্য ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাইস্কুল, হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, অ্যাথনিকা অ্যান ইংলিশ ভার্সন স্কুল ও জনতা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়অঞ্চল: রংপুরবিজয়ী স্কুলঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়বিজয়ী দলের সদস্য১. ইমামুন নূর২. শফিউর রহমান৩. সৌগত দেবনাথ৪. রিফাদুজ্জামান রিফাদ৫. সাহেদ হোসেনক্যাম্প : রংপুরের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার,৩–৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫অংশগ্রহণকারী স্কুলঅংশগ্রহণকারী ৮টি স্কুলের মধ্যে রয়েছে, দ্য মিলেনিয়াম স্টার্স, বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ফাকল পুলিশ লাইনস স্কুল, দিনাজপুর জিলা স্কুল ও গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়।অঞ্চল: ময়মনসিংহবিজয়ী স্কুলবাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চবিদ্যালয়।বিজয়ী দলের সদস্য১. মুকতাদির মাহাদী২. রাশেদ জামাল৩. তন্ময় চক্রবর্তী৪. ফারজানা আখতার৫. সামিহা বিনতে মকবুলক্যাম্প: ময়মনসিংহ ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার, ৩–৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫।অংশগ্রহণকারী স্কুলঅংশগ্রহণকারী ৭টি স্কুলের মধ্যে রয়েছে, নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাইস্কুল, জামালপুর জিলা স্কুল, শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি, আফতাব উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চবিদ্যালয়। | 170,564 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০৫ মার্চ ২০১৫, ০৩:৩৬ | ০৫ মার্চ ২০১৫, ০৫:৫০ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,বিশ্বকাপ উৎসব | null | জুটি ভাঙলেন সাব্বির | http://www.prothom-alo.com/sports/article/468712 | কিছুটা আর্দ্রতা আছে। উইকেটে সুইং থাকবে—এ যুক্তিতে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩৮ রানেই দুই স্কটিশ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে শুরুতেই তার সুফলও পেল বাংলাদেশ। তবে এরপরই দাঁড়িয়ে গেল কাইল কোয়েতজার-ম্যাট ম্যাচান জুটি। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটি বেশ কিছুক্ষণ ভোগাল বাংলাদেশকে। অবশেষে এ জুটি ভেঙেছেন সাব্বির রহমান। সর্বশেষ, স্কটল্যান্ডের সংগ্রহ ২৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৬ রান।তৃতীয় ওভারেই মাশরাফির বলে মাহমুদউল্লাহর সহজ ক্যাচের শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার ক্যালাম ম্যাকলাউড। ফেরার আগে সংগ্রহ ১১ রান। কিছুক্ষণ পর তাসকিন আহমেদের বলে সৌম্য সরকারের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন হামিশ গার্ডিনার (১৯ রান)। এরপর তৃতীয় উইকেটে দলকে কক্ষপথে ফেরান কোয়েতজার-ম্যাচান। এ জুটিতে এল ৭৮ রান। সাব্বিরের হাতে লোপ্পা ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ম্যাচানের সংগ্রহ ৩৫ রান। কোয়েতজার অপরাজিত ৪৮ রানে। | 120,432 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৬ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৭ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1069959 | সিলেটের জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বেলালের মুক্তির দাবিতে গতকাল রোববার মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকেরা। পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাব যৌথভাবে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। জৈন্তাপুর সদরের তামাবিল সড়কের পাশে গতকাল বিকেলে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধন শেষে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।গোলাম সারওয়ার দৈনিক সংগ্রাম ও সিলেটের আঞ্চলিক দৈনিক জালালাবাদ-এর জৈন্তাপুর প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। ২৪ জানুয়ারি তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিএনপির অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাঘের সড়ক এলাকায় একটি ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলা হয়। হামলায় ওসমানীনগরের বাসিন্দা ট্রাকচালক বকুল দেবনাথ (৩৫) দগ্ধ হন। তাঁকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর বকুল মারা যান। এ ঘটনার পরপরই গোয়াইনঘাট থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করে। ওই মামলায় গোলাম সারওয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। | 288,561 |
বান্দরবান প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৭ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৮ | বান্দরবান | 0 | ‘পাহাড়ে মানসম্মত শিক্ষা নেই’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1316411 | শিক্ষক-সংকট, অবকাঠামোগত সমস্যা, দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে বান্দরবানের পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন পরীক্ষায় তারা পিছিয়ে পড়ছে।গতকাল শুক্রবার বান্দরবানের জেলা শহরতলির ফারুকপাড়ায় সম্মিলিত আদিবাসী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষা সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্মত শিক্ষার জন্য সাত দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসেন কবীর। প্রধান আলোচক ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক বসুমিত্র চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের বান্দরবান জেলা সভাপতি জুয়ামলিয়ান আমলাই বম, রুমা সাঙ্গু কলেজের অধ্যক্ষ সুইপ্রু অং মারমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন থোয়াইক্য জাই চাক।সভায় বক্তারা বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু করলেও বাস্তবে সেটির কোনো প্রতিফলন নেই। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে শিক্ষক-সংকটের কারণে পাঠদান হয় না বললেই চলে। এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের জন্য পাহাড়ি শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু, উচ্চশিক্ষায় পাহাড়ি কোটা বৃদ্ধি, শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু এবং কারিগরি ও প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট স্থাপনের দাবি জানান তাঁরা। | 337,334 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:১৫ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:১৭ | ভারত | null | ফেরারি মালিয়াকে ভারতে ফিরিয়ে দেবে যুক্তরাজ্য | http://www.prothom-alo.com/international/article/1577607 | ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত ভারতীয় শিল্পপতি বিজয় মালিয়াকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল সোমবার মালিয়ার প্রত্যর্পণের কাগজে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করতে ১৪ দিন সময় পাবেন ফেরারি এই শিল্পপতি।নয় হাজার কোটি রুপি ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত ৬২ বছর বয়সী লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।গত বছর ১০ ডিসেম্বর লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়াকে ভারতে ফেরানোর পক্ষে রায় দেন ব্রিটিশ আদালত। ভারতের তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের আবেদনের ভিত্তিতে ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বিজয় মালিয়াকে ফেরানোর পক্ষে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন মালিয়া। সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। তাঁর প্রত্যর্পণে সিলমোহর দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে, ভারতেই ফিরতে হচ্ছে বিজয় মালিয়াকে৷২০১৬ সালে ভারতের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নয় হাজার কোটি রুপি ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যান মালিয়া। এক বছর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে লন্ডন পুলিশ। এর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মালিয়ার বিচার শুরু হয়।ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে—এই ইঙ্গিত পেতেই শত ভাগ ঋণ মিটিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন মালিয়া। এতে রাজি নয় ভারত। তাই তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। | 389,404 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ১৫:৪৮ | ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:০৩ | সিলেট,সিলেট বিভাগ | 0 | হাসপাতাল থেকে কারাগারে আরিফুল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1005861 | সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে আজ রোববার হাসপাতাল থেকে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বেলা একটার দিকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগির মিয়া।কারাগার সূত্র জানায়, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি অসুস্থবোধ করলে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল।হাসপাতাল সূত্র জানায়, তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে একটানা প্রায় তিন সপ্তাহ আরিফুল হক চৌধুরীর চিকিৎসার পর আজ তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অাইনে করা পৃথক দুই মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আরিফুল হক চৌধুরীকে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। | 258,382 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২২ আগস্ট ২০১৩, ০০:২৪ | ২২ আগস্ট ২০১৩, ০০:২৫ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/40973 | খবরএবিসি খবর [প্রতি ঘণ্টায়]তথ্য ও বিনোদন৩.২০ চাইলেই পাইবেন৭.২০ গ্রামীণফোন লাউঞ্জ৮.১০ প্রাণ মিস্টার নুডলসমিউজিক ডিসকো১১.২০ কথাবন্ধুর সঙ্গে আড্ডা | 11,119 |
দিনাজপুর সংবাদদাতা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:০৭ | ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৪৬ | -1 | 0 | গ্রামবাসী নিজেরাই নির্মাণ করে নিলেন সাঁকো | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1158331 | দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার মহদীপুর গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তিন দিনের মধে৵ নিজেদের চলাচলের জন্য তৈরি করে নিয়েছেন বাঁশের সাঁকো। সংশ্লিষ্ট খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বারবার অনুরোধ করেও ফল না পেয়ে ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজারসংলগ্ন রাস্তায় ভেঙে যাওয়া সেতুর জায়গায় এ সাঁকো তৈরি করে নিলেন তাঁরা। মহদীপুর গ্রামের মনজুরুল হক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন মহদীপুর, খয়েরবাড়ী, লক্ষ্মীপুর, মহেশপুর, কিসমতলালপুর, বালুপাড়া, জমিদারপাড়া ও বারাইপাড়ার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ও লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। পথের এখানে একটি ভাঙা সেতু ছিল। কিন্তু টেন্ডারের পর ঠিকাদার বিকল্প কোনো রাস্তা না করে দিয়েই পুরোনো সেতুটি ভেঙে সব নিয়ে গেছেন। এতে এলাকাবাসী পড়ে চরম বিপদে। ইউপি সদস্য মোকলেছার রহমান বলেন, ‘সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অবশেষে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে গত রোববার থেকে এই বাঁশের সাঁকোর নির্মাণকাজ শুরু করেন। গতকাল মঙ্গলবার সাঁকোর কাজ শেষ হয়েছে।’ মহেশপুর গ্রামের সুশীল বলেন, ‘এত দিন আমরা সেতুর নিচ দিয়েই যাতায়াত করেছি। কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সেখানে পানি জমে থাকায় আর যাতায়াত করতে পারছিলাম না।’ এ বিষয়ে খয়েরবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান আবু তাহেরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই সেতুর স্থানে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩২ লাখ টাকায় নতুন সেতু করার টেন্ডার হয়েছে। সেতুর ঠিকাদারের নাম জানা নাই। তবে সেতু নির্মাণের স্থানে পানি জমে থাকায় ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করতে পারছেন না।’ | 313,720 |
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জুলাই ২০১৭, ১৬:১১ | ১৬ জুলাই ২০১৭, ১৬:১২ | গাইবান্ধা,রংপুর বিভাগ,সরকার | 0 | ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি হলে ছাড় নয়: মায়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1253961 | দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সরকারি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সরকারের যথেষ্ট ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। তাই ত্রাণ নিয়ে কেউ যেন কোনো কথা না বলে। মন্ত্রী বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে কোনো রকম দুর্নীতির ছোঁয়া যেন না লাগে। সেটা লক্ষ রাখতে হবে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, সে দলের হোক, বাইরের হোক, প্রশাসন হোক, উচ্চপর্যায়ের লোকও হোক—তাকে কিন্তু ছাড় দেওয়া হবে না। এটা মাথায় রেখে পবিত্রতার সঙ্গে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব।’ আজ রোববার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল প্রমুখ। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সামনে হয়তো আরও বড় ধরনের বন্যা আসতে পারে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এবং চীনের মতো বড় দুটি দেশে ব্যাপক পানি হয়েছে। ওই পানি তো এদিক দিয়েই আসবে। যার কারণে আমাদের আগাম প্রস্তুত থাকা দরকার। আমাদের সবকিছু প্রস্তুত রাখতে হবে।’ সভায় জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, এ পর্যন্ত জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৩০টি ইউনিয়নের ১৯৪টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৬০ হাজার ৩৩৮টি পরিবারের ২ লাখ ৪১ হাজার ২১৩ জন মানুষ। এ ছাড়া ৫০০টি পরিবারের ১২ হাজার ৭৫৭ জন মানুষ নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঁচা রাস্তা ৮১ কিলোমিটার এবং ২৫৪ হেক্টর পাট, আউশ, আমন বীজতলা ও শাকসবজির খেত পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে তিনজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ১৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যার্ত মানুষের জন্য ৮২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র চলমান থাকায় ৪ হাজার ৯২০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের চরকাবিলপুর গ্রামে বন্যাকবলিত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। মন্ত্রী ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের ৬০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি মুড়ি, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, এক কেজি চিড়া, এক ডজন মোমবাতি ও এক ডজন দেশলাই সংবলিত একটি করে প্যাকেট দেওয়া হয়। | 326,567 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জুলাই ২০১৫, ১৫:৪৭ | ১২ জুলাই ২০১৫, ১৫:৫৮ | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,অপরাধ | 0 | সাতক্ষীরায় সীমান্তের কাছে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/576265 | সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় সীমান্তের কাছ থেকে মুকুল সরদার (৩৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের গ্রামের কয়েকজনের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তিনি মারা গেছেন। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, বিএসএফ এ ধরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে।নিহত মুকুল সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাওয়ালখালী গ্রামের দুজনের ভাষ্য, মুকুল সরদার কয়েকজনের সঙ্গে শুক্রবার দুপুরের পর গরু আনতে অবৈধভাবে ভারতে যান। শনিবার ভোর চারটার দিকে গরু নিয়ে ভারতের বসিরহাট থানার দুবলি মাঠে পৌঁছালে খলশে বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। মুকুলের তলপেটের নিচে গুলি লাগলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। সঙ্গে থাকা অপর সঙ্গীরা তাঁর লাশ নিয়ে সীমান্ত পার হয়ে একটি বেড়িবাঁধের উপর লাশটি রেখে পালিয়ে যান। এর পরের ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা আর কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন।১৯ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্তের বাঁধহিলকি বিলের পাকা সড়কের পাশ থেকে মুকুলের লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ। তিনি বলেন, মুকুলের তলপেটের নিচে গুলির চিহ্ন ছিল। লাশটি খেঁজুর গাছের পাতা দিয়ে তৈরি পাটি দিয়ে বাঁধা ছিল। লাশটি পচে গন্ধ বের হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কোথাও লাশটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। লাশটি সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের তিন কিলোমিটার ভেতরে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি আজ রোববার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।নিহতের শ্বশুর কুশখালী গ্রামের আবদুল খালেক বলেন, তাঁর মেয়ের জামাই গরু ব্যবসা করতেন। কখন গরু আনতে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন, তা তাঁরা জানতেন না। বিএসএফের গুলিতে মুকুল নিহত হয়েছে বলে তিনি লোকমুখে শুনেছেন। শনিবার সারাদিন লাশের সন্ধান করে পাওয়া যায়নি। রাতে লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে।এ ব্যাপারে ৩৮ বিজিবির কুশখালী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার বেলাল হোসেন বলেন, মুকুল সরদার নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ তাদের কিছু জানায়নি।সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির অধিনায়ক মেজর নজির আহমেদ বকশীর দাবি, একটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হয়েছে সীমান্তে বাংলাদেশের অনেক ভেতর থেকে। তাঁর শরীরে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে বলা হয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা শনিবার ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্তের বিপরীতে ঘটেনি। কীভাবে মুকুলের মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। | 152,143 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ মে ২০১৬, ০৩:০৫ | ২৯ মে ২০১৬, ০৩:০৫ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গসংগীত পরিষদের দ্বিমাসিক সংগীতের আসর ২ জুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/871852 | সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গসংগীত পরিষদের আয়োজনে আগামী ২ জুন থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের লেকচার থিয়েটার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘মেঘমল্লার’ শিরোনামে দ্বিমাসিক সংগীতানুষ্ঠান। আসরের এই পর্বের বিষয় বর্ষার রাগ। উস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ, উস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁ, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, উস্তাদ আমির খাঁ ও পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার রেকর্ডে ধারণকৃত পরিবেশনা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই সংগীতায়োজন। বিজ্ঞপ্তি। | 227,107 |
তানজিম আল ইসলাম | life-style | জীবনযাপন | ১১ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৪৫ | ১১ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:১৮ | অধুনা,আইন ও বিচার | null | ইভ টিজিং করলেই শাস্তি | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1468001 | যেকোনো মেলা বা উৎসবে কিংবা রাস্তাঘাটে ভিড়ে চলাফেরার সময় কেউ যদি উত্ত্যক্তের শিকার হন কিংবা কেউ যদি উত্ত্যক্ত করে, তাহলে কি কোনো আইনি প্রতিকার আছে? এর উত্তর হচ্ছে—হ্যাঁ, আছে। কেউ যদি কোনো স্থানে ইভ টিজিংয়ের শিকার হন, তাহলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে।ইভ টিজিংয়ের শাস্তিদণ্ডবিধির আইনের ২৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি অন্যদের বিরক্তি সৃষ্টি করে, কোনো প্রকাশ্য স্থানের কাছাকাছি কোনো অশ্লীল কাজ করে অথবা কোনো প্রকাশ্য স্থানে কোনো অশ্লীল গান, গাথা সংগীত বা পদাবলি গায়, আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে; সেই ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় এ বিষয়ে স্পষ্ট বিধান আছে। এ ধারায় বলা আছে, যদি কেউ কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কথা, অঙ্গভঙ্গি বা কোনো কাজ করে, তাহলে দায়ী ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সাজা বা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ইভ টিজিং বা উত্ত্যক্ততা বিষয়ে বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের ৭৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ কোনো রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা সেখান থেকে দৃষ্টিগোচরে স্বেচ্ছায় এবং অশালীনভাবে নিজ শরীর এমনভাবে প্রদর্শন করে, যা কোনো গৃহ বা দালানের ভেতর থেকে হোক বা না হোক, কোনো নারী দেখতে পায় বা স্বেচ্ছায় কোনো রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে কোনো নারীকে পীড়ন করে বা তার পথ রোধ করে বা কোনো রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে কোনো অশালীন ভাষা ব্যবহার করে, অশ্লীল আওয়াজ, অঙ্গভঙ্গি বা মন্তব্য করে কোনো নারীকে অপমান বা বিরক্ত করে, তবে সেই ব্যক্তি ১ বৎসর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ডে অথবা ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ৭৫ ধারা অনুযায়ী সমাজে অশালীন বা উচ্ছৃঙ্খল আচরণের শাস্তি হিসেবে তিন মাস মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে। আবার যৌন পীড়ন করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আছে কঠিন শাস্তি। হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ইভ টিজিং একটি গুরুতর যৌন নির্যাতন হিসেবেও গণ্য হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে তখনই অপরাধ আমলে নিয়ে শাস্তি দিতে পারবেন। এই আইনে শাস্তি হবে সর্বোচ্চ দুই বছর।কীভাবে নেবেন আইনের আশ্রয়ইভ টিজিংয়ের শিকার হলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় গিয়ে দ্রুত বিষয়টি অবগত করতে হবে। লিখিত অভিযোগও করা যেতে পারে। অবশ্য পুলিশ নিজে বাদী হয়েও মামলা করতে পারে। যদি উত্ত্যক্তকারী পরিচিত কেউ হয়, তাহলে তার নাম–ঠিকানা দিতে হবে। আর যদি অপরিচিত হয়, তাহলে যদি তার চেহারার বর্ণনা দেওয়া যায় ভালো এবং ঘটনা ও ঘটনাস্থল সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে। পুলিশের সদিচ্ছা থাকলে উত্ত্যক্তকারীদের খুঁজে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে কোনো মেলায় বা কোনো আয়োজনে গেলে কাছের থানা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ফোন নম্বর রাখা উচিত।থানায় যদি অভিযোগ না নেয়, তাহলে সরাসরি আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ আছে। কেউ ইভ টিজিংয়ের শিকার হয় বা হচ্ছে, এমন কোনো ঘটনা দেখলে, আশপাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সঙ্গে সঙ্গে অবগত করা উচিত। তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত যদি হাতেনাতে প্রমাণ পান, তাহলে ঘটনাস্থলেই শাস্তি আরোপ করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিরীহ কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে কিন্তু ফল উল্টো হতে পারে।লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট | 360,641 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মার্চ ২০১৮, ১২:১৮ | ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৬:০২ | দুর্ঘটনা,ইউএস বাংলা | null | ‘মানুষগুলো পুড়ছিল, চিৎকার করছিল’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1449111 | ‘উড়োজাহাজটি নামার আগমুহূর্তে বাঁ কাত হয়ে যায়। যাত্রীরা চিৎকার করতে শুরু করেন। হঠাৎ করে পেছনে আগুন দেখতে পাই আমরা। আমার বন্ধু আমাকে বলে, “চলো দৌড়ে সামনে যাই। ” কিন্তু আমরা যখন দৌড়ে সামনে যাচ্ছিলাম, আমার বন্ধুর গায়ে আগুন ধরে যায়। সে পড়ে যায়।’এভাবেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন শাহরীন আহমেদ। কাঠমান্ডুতে গতকাল সোমবার বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট থেকে প্রাণে রক্ষা পাওয়া যাত্রী তিনি।২৯ বছরের শাহরীন এক বন্ধুর সঙ্গে নেপালে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের অনেক জায়গায় পুড়ে গেছে। বর্তমানে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।হিমালয়ান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাঁদতে কাঁদতে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন শাহরীন। বলেন, ‘মানুষগুলো পুড়ে যাচ্ছিল। তারা চিৎকার করছিল। কয়েকজন পড়ে যায়। জ্বলন্ত বিমান থেকে তিনজনকে লাফ দিতে দেখি। এটা ভয়ানক ছিল। সৌভাগ্যবশত কেউ আমাকে টেনে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়।পেশায় শিক্ষক শাহরীন যাচ্ছিলেন কাঠমান্ডু ও পোখারায় ঘুরতে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, শাহরীনের ডান পায়ে আঘাত লেগেছে এবং তাঁর শরীরের ১৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।আরেক বাংলাদেশি যাত্রী মেহেদি হাসান কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী, এক বোন ও বোনের মেয়ের সঙ্গে। জীবনের প্রথম বিমান ভ্রমণ যে এতটা ভয়বহ অভিজ্ঞতার মুখে ফেলবে, তা কখনো ভাবেননি মেহেদি হাসান।মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমার সিট পেছনের দিকে ছিল। যখন আগুন দেখতে পাই, আমার পরিবারের দিকে তাকাই আমি। আমরা জানালার কাচ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পারছিলাম না। আশা করছিলাম, কেউ এসে আমাদের উদ্ধার করবে। দুর্ঘটনায় আমি আর আমার স্ত্রী বেঁচে গেছি। তবে আমার কাজিন ও তাঁর মেয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।’মেহেদি হাসানও এখন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সূত্র: হিমালয়ান টাইমস | 357,805 |
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৫, ০১:১১ | ১৯ নভেম্বর ২০১৫, ০১:১২ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | হাতীবান্ধায় নির্মম নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/687498 | প্রেম করার জের ধরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক কলেজছাত্রকে ডেকে নিয়ে মেয়ের পরিবারের লোকজন নির্মম নিযার্তনের পর গরম আয়রন (ইস্ত্রি) দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি গ্রামের। নির্যাতনের শিকার রফিকুল ইসলাম (১৮) নামের ওই ছাত্র বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গত মঙ্গলবার রাতেই নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল করে।সরেজমিনে গতকাল বুধবার বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রফিকুল। তাঁর দুপায়ে অসংখ্য নির্যাতনের দাগ। পিঠের পুরো অংশে দগদগে ক্ষত। এ সময় গুরুতর আহত রফিকুল বলেন, ‘বাইসাইকেলের রডতালা দিয়ে পেটানোর কারণে মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারাই। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমার পুরো পিঠ জ্বলছে। তখন জানতে পারি, জ্ঞান হারানোর পর ওদের বাড়ির ইস্ত্রি গরম করে আমার পিঠে ছ্যাঁকা দিয়েছে চয়ন আর মামা লিমন।’এলাকাবাসী ও আহত কলেজছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি গ্রামের আবদুস ছাত্তারের দশম শ্রেণিতে মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশের গোতামারী ইউনিয়নের গোতামারী গ্রামের উকিল মাহমুদের ছেলে রফিকুলের। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের ভাই চয়ন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি রফিকুলকে তাঁর বোনের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিতেন তিনি। এতে কাজ না হওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে চয়ন তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে রফিকুলকে বাড়ি ডেকে নেন। রফিকুল আসামাত্রই চয়ন আর তাঁর মামা লিমন তাঁকে ঘরে নিয়ে বেধড়ক পেটান। খবর পেয়ে গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জালিল গিয়ে গুরুতর আহত রফিকুলকে উদ্ধার করেন।চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, প্রেম করার অপরাধে একজন ছাত্রকে এভাবে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাবাসীও ক্ষুব্ধ। রফিকুল সুস্থ হলে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।এদিকে মেয়েটিও বলে, রফিকুলকে ডেকে এনে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।আহত কলেজছাত্রের বাবা উকিল মাহমুদ বলেন, ‘আমার ছেলেকে যেভাবে লন্ড্রি মেশিন গরম করে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে তাতে সে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে।’হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রমজান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আহত এক ছাত্র ভর্তি হওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। আমি বাইরে। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।’হাতীবান্ধা থানার এসআই আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে কলেজছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনাটি শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ | 175,751 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৮, ২১:৪৪ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০৯:৪৫ | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,রাজনীতি,বিএনপি | null | স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগাম হুঁশিয়ারি সংগত নয়: ফখরুল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1417736 | বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আগামী নির্বাচন করতে চায় বিএনপিকে বাদ দিয়ে। সে জন্যই নজিরবিহীন তাড়াহুড়ার মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে এই মামলা শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বহু আগেই রায় দিয়ে দিয়েছেন।আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলির কে এম দাশ লেনে প্রয়াত ঔপন্যাসিক শওকত আলীর বাসায় পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।রায় নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, রায় ঘোষণার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিমূলক আগাম বক্তব্য সংগত নয়। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, তাঁরা কী চিন্তা করছেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো রায় পাইনি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। তাহলে কোথায় যাবেন?’ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন আগে থেকেই সরকারের লোকজন এই মামলা নিয়ে আগাম বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বহু আগেই রায় দিয়ে দিয়েছেন। নিশ্চয় মনে আছে, অনেক আগেই তিনি বলে দিয়েছিলেন এতিমের টাকার ব্যাপারে। অন্য মন্ত্রীরা বলছেন। তাঁরা প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি ক্ষণ হুমকি দিয়েছেন, শক্তি প্রয়োগ করেছেন, বলপ্রয়োগ করেছেন।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এরশাদ সাহেব রংপুরে বলেছেন, আর মাত্র কয়েক দিন, তারপর জেলে যেতে হবে। তাঁর দলের একজন প্রতিমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের এ ধরনের কথায় প্রমাণিত হয়, রায় পূর্বনির্ধারিত, পরিকল্পিত।’ এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রয়াত ঔপন্যাসিক শওকত আলীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বড় ছেলে আসিফ শওকত কল্লোল, স্ত্রী ফারজানা আফরোজসহ আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন।উল্লেখ্য, শুক্রবার পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘পরিবার দিবস’–এর অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। | 352,771 |
রাফাত জামিল | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২২ নভেম্বর ২০১৫, ০০:০২ | ২২ নভেম্বর ২০১৫, ০০:০২ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর | 0 | ৬৪ জেলার ৭০ কিশোরী পেল ল্যাপটপ | http://www.prothom-alo.com/technology/article/690205 | মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ‘ইয়েস শি ক্যান’ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ৭০ জন কিশোরীকে ল্যাপটপ কম্পিউটার দেওয়া হলো। ল্যাপটপ দেওয়ার পর ২০ নভেম্বর ঢাকায় মাইক্রোসফট বাংলাদেশের অফিসে কম্পিউটারের প্রাথমিক ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্যবহার, এমএস অফিস, ভিডিও কল ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য হারে উন্নতি করছে, বিশেষ করে নারী শিক্ষায়। একটি আধুনিক ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তাদের পরিচিত করে গ্রামের দরিদ্র শিশুদের মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘নারী, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে মাইক্রোসফট যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই প্রযুক্তি খাতে আরও নারী যুক্ত হোক।’ অনুষ্ঠানে স্বর্ণ-কিশোরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফারজানা ব্রাউনিয়া উপস্থিত ছিলেন।তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্ক নিয়ে পুরো দেশের গ্রামীণ ছাত্রীদের শিক্ষাদান-বিষয়ক চার বছর মেয়াদি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ, স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশ লিমিটেড। এ প্রকল্পের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে দেশের গ্রাম পর্যায়ের ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপে বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ‘স্বর্ণ-কিশোরী’–দের ল্যাপটপ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া হলো জেলা পর্যায়ে। পরবর্তী সময়ে উপজেলা পর্যায়ে দেওয়া হবে।প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পঞ্চগড় জেলার আফিয়া অন্তরা বলে, ‘প্রশিক্ষণের ফলে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে শিখছি। আমি নিজে উপকৃত হচ্ছি এবং আমি সমাজে এ শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারব।’ | 176,777 |
রাশেদুল ইসলাম | sports | খেলা | ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:০৫ | ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ২০:১৯ | ফুটবল | 0 | মেহেদীর ‘মেহনতি’ হাত হয়ে উঠুক বাংলাদেশের হাতিয়ার | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1564285 | গোলরক্ষক মেহেদী হাসান ছিল সোনার দোকানের কর্মচারী। দুই বছরের ব্যবধানে তার বিশ্বস্ত হাতের ওপর ভর করেই অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবলের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশঘুম থেকে উঠে পেটে কিছু দানা-পানি দিয়েই দোকানের তালা খুলে ঝাড়পোঁছ দিয়ে আসন গেড়ে বসা। হিটার ল্যাম্পে আগুন জ্বালাও, রুপা দিয়ে ঝালাই আংটি তৈরি করো, গাঁথো চেইন। একটা জুয়েলারি দোকানের ছোট এক কর্মচারীর প্রতিদিনের জীবনটা ছিল খটখট শব্দের মধ্যে এমনই গৎবাঁধা। খুব বেশি দিন আগের নয়, ২০১৬ সালের কথা।দুই বছর আগের সেই জুয়েলারি শ্রমিকই আজকের মেহেদী হাসান, যার বিশ্বস্ত হাতের ওপর ভর করেই অনূর্ধ্ব–১৫ কিশোর সাফ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। যশোরের এই ছেলের কাছেই নেপালের মাটিতে বধ হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকার শট ঠেকিয়েছে দুটি। আর ফাইনালে বদলি নেমে পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইব্রেকার শট ঠেকিয়েছে তিনটি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুটি ম্যাচে পাঁচটি টাইব্রেকার শট ঠেকিয়ে দেওয়া। ভাবা যায়! আসলে মেহেদীর হাত তো শ্রমিকের মেহনতি হাত!গৃহিণী স্ত্রী, দুই মেয়ে ও মেহেদীকে নিয়ে মিজানুর রহমানের টানাটানির সংসার। বাসের কন্ডাক্টরি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালানো যায় না। এর মধ্যে বড় ছেলে মেহেদীর পড়াশোনায় মন নেই। খালি ফুটবল আর ফুটবল। ব্যস, রাগ করে ২০১৫ সালে মেহেদীকে দিয়ে দিলেন সোনার দোকানের কাজে। ছেলে আংটি বানানো শেখে, হিটার ল্যাম্পে আগুন জ্বালানোতে সিদ্ধহস্ত হয়। কিন্তু ওই আগুনেই তো ভেতরে পুড়তে পুড়তে খাঁটি হয় ফুটবলার হওয়ার বাসনা। সোনার দোকানে কাজ করার সুবাদেই সুযোগটা বুঝি এসে গেল।বেনাপোল বাজার সমিতির খেলায় মেহেদী দাঁড়িয়ে গেল জুয়েলারি দোকানিদের নিয়ে গড়া দলের গোল পোস্টের নিচে। ম্যাচটি শৌখিন হলেও বদ্ধ ঘরে আটকে থাকা পাখি হঠাৎ ছাড়া পেয়ে উড়তে চাইল ডানা মেলে। মাঠে উপস্থিত থাকায় ‘সোনা’ পেয়ে গেলেন বেনাপোলের নুর ইসলাম একাডেমির কোচ সাব্বির পলাশ। জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার বুঝে গেলেন, সোনার দোকানের এই কর্মচারীই পারবে বাংলাদেশকে সোনা এনে দিতে।কিন্তু এর আগে তো প্রয়োজন মেহেদীকে সোনার দোকান থেকে বের করে আনা। তাই মেহেদীকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবার কাছে গিয়ে আরজি জানালেন পলাশ, ‘আপনার ছেলেটাকে আমাকে দিন ভাই। দুই বছরের মধ্যে ও কিছু করতে না পারলে তার দায় আমি নেব।’ আসলে পলাশই খাঁটি জহুরি। আসল সোনা চিনতে তাঁর কষ্ট হয়নি। তাঁর শিষ্য মেহেদীর নিজেকে চেনাতে দুই বছরের বেশিও লাগেনি। ২০১৬ সালে মাঠে যাওয়া শুরু, ২০১৮–এর নভেম্বরে জ্বলে ওঠা। এর আগে নুর ইসলাম একাডেমির হয়ে শেষ পাইওনিয়ার ফুটবলেও সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার উঠেছিল মেহেদীর হাতে।কিন্তু কীভাবে স্পটকিক ঠেকানোর মতো দুরূহ কৌশল আয়ত্তে আনা?একাডেমি থেকেই শেখার শুরু। এরপর জাতীয় দলের ক্যাম্পে এসে গোলরক্ষক কোচ মিনারুল ইসলামের কাছে এসে হাত পাকা হওয়া। সোমবার বাফুফে ভবনে দাঁড়িয়ে শোনাচ্ছিল মেহেদী, ‘একাডেমি না থাকলে সোনার দোকানেই হয়তো চাকরি করতে হতো। আমার জীবনটা বদলে দিয়েছেন পলাশ স্যার। ওনার কাছ থেকেই শেখার শুরু। আর জাতীয় দলের ক্যাম্পে এসে মিনার স্যার খুব ভালো শিখিয়েছেন—স্পটকিকের সময় খেলোয়াড়ের পায়ের কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক আমিনুল হকের ভক্ত মেহেদীর মুখে বারবার উঠে এল তার একাডেমি ও কোচ পলাশের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ। কথা হলো কয়লা থেকে সোনা তুলে আনা কোচ পলাশের সঙ্গে। দীর্ঘদিন আমিনুলের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে খেলেছেন। তাই আমিনুলের ক্যারিশমাটা তাঁর ভালোই জানা। মেহেদিকে হাতে পাওয়ার পর থেকেই চেয়েছিলেন দেশকে একটা আমিনুল উপহার দেওয়ার, ‘আমি প্রায় ছয় বছর আমিনুলের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধায় খেলেছি। ও-ই আমার চোখে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা গোলরক্ষক। দেশকে আরেকটা আমিনুল উপহার দেওয়ার ইচ্ছে থেকেই হাতে তুলে নিয়েছি মেহেদীকে।’আমিনুলের মতো হতে পারবে কি না মেহেদি, এটা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এক জায়গায় কিছুটা হলেও আমিনুলকে ছুঁতে পেরেছে বেনাপোলের ছেলে। ২০০৩ সাফ ফুটবলে মালদ্বীপের বিপক্ষে টাইব্রেকার ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে শিরোপা জিতিয়ে ছিলেন আমিনুল। আর মেহেদি টাইব্রেকার ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে কিশোর সাফ শিরোপা। সিনিয়র সাফ ও কিশোর সাফের মধ্যে পার্থক্যটা আকাশ আর পাতাল। কিন্তু সকাল দেখেই তো দিনের আন্দাজ করা যায়।মেহেদীর হাতের কারুকাজে একসময় ফুটে উঠত সোনার বাহারি অলংকার। এখন আর তা না হলেও ছেলেটি কিন্তু নিপুণ হাতে অলংকার আঁকছে। বদ্ধ ওই ঘরের জায়গায় তা সবুজ ক্যানভাসে। | 381,711 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জুলাই ২০১৫, ০২:১৯ | ০৩ জুলাই ২০১৫, ০২:২১ | রাজধানী (জাতীয়),ঢাকা বিভাগ,আইন ও বিচার | 0 | ঢাকায় ১২ সন্দেহভাজন জঙ্গি গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/568717 | জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গত বুধবার রাজধানীর কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী।র্যা ব দাবি করছে, এরা আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) বাংলাদেশের সদস্য। একই সঙ্গে এও বলছে, এরা হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) সদস্য। একিউআইএসে যোগদানের লক্ষ্যে সাংগঠনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে এরা ভিন্ন নামে সংগঠিত হচ্ছিল।গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলো মাওলানা মাইনুল ইসলাম ওরফে মাহিম ওরফে বদিউল (৩৫), মুফতি জাফর আমিন ওরফে সালমান (৩৪), মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ওরফে সাইদ তামীম (২০), মোশাররফ হোসেন (১৯), আবদুর রহমান বেপারী (২৫), আল-আমিন ওরফে ইব্রাহিম (২৮), মোজাহিদুল ইসলাম¦ওরফে নকিব ওরফে শরীফ¦ওরফে ইসমাইল (৩১), আশরাফুল ইসলাম¦ ওরফে আবুল হাশেম (২০), রবিউল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে রবিউল (২৮), মো. হাবিব উল্লাহ (২৬), শহিদুল ইসলাম ¦ওরফে সাগর (২৯) ও আলতাব হোসেন¦ ওরফে আল মামুন (২৬)। এদের মধ্যে মাইনুল ইসলাম বাংলাদেশে একিউআইএসের প্রধান সমন্বয়কারী ও জাফর আমিন উপদেষ্টা বলে দাবি করছে র্যা ব।র্যা বের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হুজি-বির কারাবন্দী নেতা মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবুল জান্দাল কারাগারের ভেতর থেকে মুঠোফোন ও চিঠির মাধ্যমে আত্মগোপনে থাকা সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এরা সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে প্রথমে ‘দাওয়াতে তাবলীগ’ এবং পরে ‘৩১৩ বদরের সৈনিক’ নামে আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করছিল। উপমহাদেশে আল-কায়েদার বিস্তার সামনে রেখে দেশে সর্বাত্মক কার্যক্রম শুরু হলে তারা একিউআইএসে যোগ দেবে—এটাই ছিল মূল লক্ষ্য।গতকাল বৃহস্পতিবার র্যা ব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ঈদুল ফিতরের পর রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা করার লক্ষ্যে বেশ কিছু জঙ্গি ঢাকায় জড়ো হবে, কিছু জঙ্গি বরিশাল ও খুলনা রওনা হয়েছে—এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মিরপুরে তাদের ভাড়া করা একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আড়াই লিটার সালফিউরিক অ্যাসিড, এক লিটার অ্যাসিটিন, এক কেজি গন্ধক, এক কেজি সালফার, ৪০০ গ্রাম পটাশিয়াম ক্লোরেট, দুই লিটার গ্লিসারিন, পাঁচ কেজি সোডিয়াম বাই কার্বনেট, পাঁচ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১৫টি বিস্ফোরক ডিভাইস, ৫৫০টি মার্বেল, চারটি চাকু, ছয়টি ছুরি, একটি চাপাতি, দুটি চায়নিজ কুড়াল, ১৬টি মোবাইল ফোন, এক কার্টন দেশলাই, ১০টি ঘড়ি, ১৪৯টি জিহাদি বই, ৩০টি প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা ইত্যাদি। | 149,863 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ১৩ মে ২০১৭, ২১:০৪ | ১৩ মে ২০১৭, ২১:০৫ | ভারত | 0 | কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটির ঐতিহাসিক প্রদর্শনী | http://www.prothom-alo.com/international/article/1178551 | কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটির ২৩৪ তম বার্ষিক সভা উপলক্ষে নয় দিন ব্যাপী এক ঐতিহাসিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। পয়লা মে এশিয়াটিক সোসাইটিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে।বিশেষ অবদান রাখার জন্য ঐতিহাসিক অধ্যাপক বিনয় ভূষণ চৌধুরী, অধ্যাপক ইন্দ্র নাথ চৌধুরী, কবি সীতাকান্ত মহাপাত্র, নৃত্যশিল্পী বিপিন গোস্বামী, নৃতাত্ত্বিক অন্নদা চরণ ভগবতী, শিক্ষাবিদ উপেন্দ্র বকসী, বাংলাদেশের অধ্যাপক এনামুল হককে সোসাইটির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয়।এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি প্রখ্যাত চিত্রকর ঈশা মহম্মদ সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে বলেন, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের জানা অজানা অনেক ঐতিহাসিক তথ্য, ঐতিহাসিক ছবি, পেইন্টিং, ঐতিহাসিক ভাস্কর্য, শিলালিপি, পুথির নানা তথ্যর পথ খুলে যাবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সত্যব্রত চক্রবর্তী।অনুষ্ঠানে আলোচকেরা বলেন, এশিয়াটিক সোসাইটির এই প্রদর্শনী আমাদের নতুন করে ইতিহাসের পথ দেখিয়েছে। অনেক জানা অজানাকে আমাদের নিকটে টেনে নিয়েছে।‘টাইম পাস্ট অ্যান্ড টাইম প্রেজেন্ট: দ্য ট্রেজার্স অফ দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে ঐতিহাসিক নানা ছবি, ভাস্কর্য, শিলালিপি, বহু ভাষায় লেখা পুঁথিসহ নানা ঐতিহাসিক তথ্য প্রদর্শিত হয়েছে। | 316,987 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ মে ২০১৪, ২০:৫৫ | ২০ মে ২০১৪, ২০:৫৫ | -1 | null | ইরাকে মানব পাচার বন্ধের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/221044 | কর্মসংস্থানের নামে ইরাকে মানব পাচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন প্রতারিত হয়ে ইরাক থেকে ফেরত কয়েকজন শ্রমিক। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইরাক-ফেরত শ্রমিকেরা এই দাবি জানান।বেসরকারি সংগঠন অনির্বাণ সারভাইভার ভয়েস এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইরাক-ফেরত কর্মী মোজাম্মেল হক। এ সময় ফেরত ১৫ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে ইরাকে লোক পাঠানোর সঙ্গে জড়িত জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স বাতিল, জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, প্রতারিত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।প্রতারিত শ্রমিকেরা জানান, ২০১৩ সালের শুরুতে চারটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মর্নিং সান এন্টারপ্রাইজ, ইস্ট বেঙ্গল ওভারসিজ ও আইডিয়া ইন্টারন্যাশনাল এবং বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ মাইগ্রেন্ট ফাউন্ডেশন (বিএমএফ) ২৭ জন বাংলাদেশিকে ইরাকে পাঠায়। তারা ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একেক জনের কাছ থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকা নেয়। কিন্তু ইরাকে গিয়ে তাঁরা কোনো কাজ পায়নি। উল্টো নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। পরে তাঁরা দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এরপর মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২-এর অধীনে মামলা করেন। কিন্তু এখনো তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাননি। | 74,555 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৫ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৫ | বাণিজ্য | 0 | ৩৪৫, নাকি ১৭০০ টাকা! | http://www.prothom-alo.com/economy/article/828106 | সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরীতে প্লটের দাম নিয়ে ট্যানারি মালিক ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। বিসিক প্রতি বর্গফুট জমির জন্য ১ হাজার ৭০০ টাকা দাবি করলেও ট্যানারি মালিকেরা বলছেন, এটি অযৌক্তিক। প্রতি বর্গফুটের জন্য তাঁরা দিতে চান সর্বোচ্চ ৩৪৫ টাকা।জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় (একনেক) গত ২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট ‘চামড়া শিল্পনগর-সাভার, ঢাকা’ নামের একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরা গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর তীরে ১৯৯.৪০ একর জমির ওপর শিল্পনগরীটি গড়ে উঠেছে। এতে হাজারীবাগের ১৫৪টি ট্যানারি স্থানান্তরিত হবে। ২০১৩ সালে প্রকল্পটি দ্বিতীয় দফায় সংশোধন করা হয়। তাতে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা করা হয়। মোট ব্যয়ের মধ্যে ট্যানারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি), ডাম্পিং ইয়ার্ড ইত্যাদির নির্মাণ ব্যয় ৬৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। তবে প্রকল্পের ব্যয় বাড়লেও জমির দাম নতুন করে বাড়েনি। প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই এখন মালিকদের বেশি দাম দিতে হচ্ছে।বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ গত সপ্তাহে বলেন, প্রতিটি প্লটের মূল্য ১০ কিস্তিতে অনেক মালিকই পরিশোধ করে দিয়েছেন। কথা ছিল ১৯০ টাকা বর্গফুট হিসেবে প্লটের দাম দিয়ে দিলে সংশ্লিষ্ট মালিকের নামে নিবন্ধন করে দেবে বিসিক। সেটি তো করছেই না, উল্টো প্রতি বর্গফুটের দাম চাচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা।বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, সিইটিপি নির্মাণ ব্যয়ের ৬৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার মধ্যে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১২৭ কোটি টাকা অর্থ মালিকদের দেওয়ার কথা। তাতে জমির দাম দাঁড়ায় ৩৪৫ টাকা প্রতি বর্গফুট। কিন্তু বর্তমান প্রকল্প পরিচালক হঠাৎ করেই পুরো প্রকল্পের টাকাই দিতে হবে। এমনকি মালিকদের ট্যানারি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।জানতে চাইলে চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল কাইউম প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিপূরণ বাদ দিলে পুরো প্রকল্পের ব্যয় ৮২৯ কোটি টাকা। এই টাকার ২০ শতাংশ অর্থ ৫ শতাংশ সুদে মালিকেরা দিতে রাজি। বাকি ৮০ শতাংশ ইকুইটি। এটি তো মালিকদের কয়েকটি কিস্তিতে বিনা সুদে দিতে হবে। তবে মালিকেরা বলছেন, তাঁদের আগে জানানো হয়নি। এই অভিযোগ ঠিক নয়। নিয়মটি পরিবর্তন করতে হলে একনেকের বৈঠকে তুলতে হবে। এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি আরও বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ টাকা বর্গফুট হিসেবে পরিশোধ করলেই মালিকদের নামে জমি নিবন্ধন করে দেওয়া হবে। | 220,070 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মার্চ ২০১৭, ২৩:২৭ | ০৭ মার্চ ২০১৭, ২৩:২৯ | সরকার | 0 | উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল পাস | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1100587 | উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৭ আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।পাসের আগে বিলের ওপর দেওয়া বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাংসদের দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সেগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।বিলে উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৩৮টি পাবলিক ও ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই কাউন্সিলের স্বীকৃতি পেতে হবে।বিলে বলা হয়েছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ২৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, অধ্যাপক হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন। এ ছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, অধ্যাপক হিসেবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি সদস্য হবেন। সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রেডিটেশন সনদ সবার অবগতির জন্য কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। সনদ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেদের অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত বলে প্রচার করতে পারবে না। | 300,130 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০৪ অক্টোবর ২০১৪, ১৫:৪২ | ০৪ অক্টোবর ২০১৪, ১৫:৪৫ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | ভারত সফরে থাকছেন না নারাইন | http://www.prothom-alo.com/sports/article/337492 | সুনীল নারাইনকে মনে করা হচ্ছিল ভারত সফরে ক্যারিবীয় দলের তুরুপের তাস। কিন্তু বোলিং অ্যাকশন নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাঁকে দেশে রেখেই ভারত সফরে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় নারাইনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ ওঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডাব্লুআইসিবি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আপাতত, নারাইনকে এই অভিযোগ কাটিয়ে ওঠার সময় ও সুযোগ দেওয়া হবে। নিজের বোলিং অ্যাকশনের ব্যাপারে পরীক্ষা দিতে নারাইনের অচিরেই চেন্নাই যাওয়ার কথা।ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথান নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড ভারতে সফরে নারাইনকে দলে নিতে না পারায় নিজের হতাশার কথা গোপন রাখেননি, ‘এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আমাদের সেরা বোলারটিকে দেশে রেখে ভারতে যাচ্ছি।’চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় যেভাবে নারাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁর কিছুটা সমালোচনাই করেছেন সাবেক এই ক্যারিবীয় গ্রেট, ‘নারাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার সময় সঠিক নিয়মকানুন মানা হয়নি বলেই অভিমত আমাদের।’ তিনি পুরো ব্যাপারটিকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটানোর পাঁয়তারা হিসেবে মনে করেন, ‘আমি মনে করি অভিযোগ যদি আনতেই হয়, সেটা আর পরিশীলিতভাবে করা উচিত ছিল।’অচিরেই নারাইনের বদলি খেলোয়াড়ের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লয়েড। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া। | 98,593 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৪ আগস্ট ২০১৫, ০০:২৫ | ০৪ আগস্ট ২০১৫, ০০:৩৭ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/592654 | মেনটস বাত্তি জ্বালাওরাত ১১টা ২০ মিনিটথেকে ২টাহিট হটে ‘সিনেমাতাল’আরজে সুমন ওমাজহারুল ইসলামবেলা ১টা থেকে ৩টা | 157,520 |
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ আগস্ট ২০১৭, ০১:১৮ | ৩০ আগস্ট ২০১৭, ০১:১৯ | সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | জঙ্গল ছলিমপুরের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1307541 | জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় দেওয়া অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে এ সময় ছিন্নমূলের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে বাধা দেন। পরে ওই এলাকা এলাকার মূল বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।ছিন্নমূল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বলেন, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে ছিন্নমূলের বাসিন্দারা এক হয়ে ওই এলাকার প্রবেশপথে জড়ো হতে থাকেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অবস্থান দেখে তাঁরা চলে যান।প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গল ছলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় গত ২১ জুলাই পাহাড়ধসে পাঁচজন মারা যায়। এরপর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান সেখানকার বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিবিরহাট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘ছিন্নমূল এলাকায় গত সোমবার আবারও বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি আমরা জানতে পারি। এরপর সেটি আবার বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।’ | 335,837 |
মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৫৫ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৫৭ | মহেশখালী,কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | মহেশখালী চ্যানেলে পাঁচ জেলে অপহূত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/125583 | কক্সবাজারের মহেশখালী চ্যানেলের সোনাদিয়ার পশ্চিমে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলদস্যুরা একটি মাছ ধরার নৌকাসহ পাঁচ জেলেকে অপহরণ করেছে। এ ছাড়া দস্যুরা লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে।মাছ ধরা নৌকাটির মালিক শামসুল আলম বলেন, ১২ জানুয়ারি ২৫ জন মাঝি ও জেলে নিয়ে এফবি রিফা নামের মাছ ধরার নৌকাটি সাগরে মাছ ধরতে যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৌকাটি উপকূলে ফেরার পথে সোনাদিয়ার পশ্চিমে জলচিরায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এ সময় জলদস্যুরা জেলেদের মারধর করে লক্ষাধিক টাকার ইলিশ মাছ লুট করে। পরে মুক্তিপণের জন্য তারা ওই নৌকাসহ মাঝি নজরুল ইসলাম এবং জেলে আবদুল করিম, ফোরকান আহমদ, জাগির হোসেন ও মোক্তার আহমদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি মহেশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। | 44,355 |
ইনকোয়ারার ডট নেট, ম্যানিলা | economy | অর্থনীতি | ১৯ মার্চ ২০১৬, ০০:০৪ | ১৯ মার্চ ২০১৬, ০০:০৪ | বাণিজ্য | null | মায়ার আইনজীবী উল্টো দুষছেন কর্তৃপক্ষকে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/802789 | ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের অর্থ চুরির ঘটনায় তোপের মুখে থাকা ফিলিপাইনের ব্যাংক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর আইনজীবী দেশটির বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এই তালিকায় আছে দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি), রিজাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং ঘটনা তদন্তে ব্যাংকের গঠন করা নিজস্ব তদন্ত দল।মায়ার আইনজীবী ফার্দিনান্দ টপাচিনোর অভিযোগ, এ ঘটনায় দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে। তারা শুধু মায়ার বিরুদ্ধে মামলা করার মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে।মায়ার আইনজীবী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, গত সপ্তাহে মায়ার বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের বিচার বিভাগে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করে এএমএলসি। তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে যে এ ঘটনার সঙ্গে অনেক বিত্তশালী, ক্ষমতাবান ও ভালো যোগাযোগসম্পন্ন ব্যক্তিরা জড়িত। তবে আমাদের বিশ্বাস, সিনেট কাউকে ছাড় দেবে না; তিনি যে বা যাঁরাই হোন না কেন, ফিলিপাইনের ব্যাংকিং খাত ও সমাজে যে গুরুত্বপূর্ণ পদেই থাকুন না কেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর হবে না।’অর্থ পাচারবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে রিজাল ব্যাংকের হিসাবধারী আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ। রিজাল ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গেছে, এসব হিসাব ছিল সন্দেহজনক। কিন্তু মায়ার আইনজীবী রিজাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তারা গুটি কয়েক ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর এ ঘটনার দায় চাপিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে।অভিযোগ অস্বীকার করে রিজাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তানের আইনজীবী ফ্রান্সিস লিম বলেন, শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে মায়া ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নিজেকে ছাড়া অন্যদের মিথ্যাবাদী বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।মায়ার আইনজীবী ফার্দিনান্দের অভিযোগ, বিষয়টির সঙ্গে জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরও অনেকের বিরুদ্ধে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ মামলা করেনি। কর্তৃপক্ষ হয় বিষয়টি নিয়ে ঠিকমতো কাজ করেনি; কিংবা রাঘববোয়ালদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে।অভিযোগ প্রমাণিত হলে রিজাল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়ার সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে বলে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের আইনজীবী ফ্রান্সিস লিম জানিয়েছেন। আর মায়ার আইনজীবীর মতে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৭ থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর মক্কেলের।মায়ার আইনজীবীর অভিযোগ, রিজাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠানই ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ তদন্তের কাজটি করছে। এ কারণে তদন্ত পক্ষপাতযুক্ত হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি নৈতিক দায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো আতিউর রহমানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, রিজাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্টেরও উচিত ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা। এ ঘটনার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।মায়াসহ পাঁচজনকে তলব: অর্থ চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত আরসিবিসির শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোসহ পাঁচজনকে তলব করেছেন দেশটির বিচার বিভাগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের করা মামলায় তাঁদের তলব করা হয়।বাকি চারজন হলেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো রুজ, জেসি খ্রিস্টফার লেগরোরাস, আলফ্রেড সান্তোস ভারগারা ও এনরিকো তেয়োদরো ভাসকোয়েজ।আগামী ১২ ও ১৯ এপ্রিল মায়াসহ পাঁচজনকে বিচার বিভাগে হাজির হতে বলা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় নথি ও সাক্ষীসহ হাজির হতে হবে।সহকারী সরকারি কৌঁসুলি গিলমারি ফে পাকামারা এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের এই সুযোগ হাতছাড়া করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য জমা দিয়ে দেওয়া হবে।গত বৃহস্পতিবার মায়াকে শুনানিতে ডাকে দেশটির সিনেট কমিটি। শুনানিতে তিনি অল্প কথায় সিনেটরদের জিজ্ঞাসাবাদের জবাব দিচ্ছিলেন। প্রায় ক্ষেত্রে শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ জবাব দেন। তিনি নিজের সমর্থনে কথা বলার সময় ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মনোভাব প্রকাশ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন দেগুইতো। এ সময় কমিটির চেয়ারম্যান তাঁকে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করাতে বলেন। | 212,277 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৩১ | ০৩ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৩৩ | আফ্রিকা | 0 | আরও মৃতদেহ | http://www.prothom-alo.com/international/article/52434 | জঙ্গি ইসলামপন্থী বন্দুকধারীদের নির্মম হামলার শিকার কেনিয়ার ওয়েস্টগেট বিপণিবিতানের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এখনো হতাহত ও ঘটনার সূত্রের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ থেকে নয়টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে গতকাল বুধবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়। সূত্রটি বলেছে, আগুনে বিকৃত হওয়ায় কয়েকটি মৃতদেহের পরিচয় জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। এএফপি। | 21,479 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০১ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:১২ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:৩০ | দেশের ক্রিকেট | null | সাকিব ফিরতেই ফিরল রংপুর, ‘ফিরলেন’ সৌম্যও | http://www.prothom-alo.com/sports/article/699982 | আচরণবিধি ভাঙায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। অধিনায়ককে ছাড়া খেলতে নেমে রংপুর রাইডার্স ৮২ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচটিও হেরেছিল ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। আজ সাকিব আল হাসানকে ফিরে পেয়ে জ্বলে উঠল রংপুর। স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংসকে ১১১ রানে আটকে দিয়ে ম্যাচ জিতল ৯ উইকেট ও ১৮ বল হাতে রেখে।সাকিবের ফেরার দিনে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন সৌম্য সরকারও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ সেরা সেই পারফরম্যান্সের পর নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। চোটের কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলা হয়নি। বিপিএলের শুরু থেকে ফিরলেও রান ফিরছিল না। প্রথম তিন ম্যাচে মাঝারি আকারের ইনিংস খেললেও গত দুই ম্যাচে আউট হয়েছিলেন ৭ ও ৫ রান করে। আজ সৌম্যর অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসে অনায়াস জয় পেয়েছে রংপুর।৫৬ বলের ইনিংসটাতে আটটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন সৌম্য। অন্য ওপেনার জহুরুল ইসলাম ৪৪ বলে করেছেন ৪৭। উদ্বোধনী জুটিতেই ১০২ রান তুলে ফেলেছিল রংপুর। জয় থেকে মাত্র দশ রান দূরে থাকতে জহুরুল শফিউলের শিকার না হলে এবারের বিপিএলে উইকেটের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় জয়টা পেয়ে যেত রংপুর। তবে আগের ম্যাচে ৯ উইকেটে হেরে যাওয়ার শোধ তারা তুলল সমান ব্যবধানের জয় দিয়েই।চট্টগ্রামে ফিরেও ভাগ্য ফিরছে না চিটাগং ভাইকিংসের। ছয় ম্যাচে এটি তামিমের দলের পঞ্চম হার। তামিম নিজে ব্যাটে রানের জোগান দিয়ে গেলেও বাকিরা পারছে না। আজও মিডল ও লোয়ার অর্ডার ডুবিয়েছে তাদের। অথচ শুরুটা তাদের ভালোই হয়েছিল। ১ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ৫৬। ২ উইকেটে ৮০—এখান থেকেও রানের গতি তারা বাড়াতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১১১ রানে ফুরিয়ে গেছে ২০ ওভার। সাকিব নিজে চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামকে রানের জন্য হাঁসফাঁস করাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।সংক্ষিপ্ত স্কোর:চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১১১/৮ (তামিম ৩৬, দিলশান ১৮, কামরান আকমল ১২, এনামুল ১৪, উমর আকমল ১, জিয়া ৩, নাঈম ১৬*, আমির ২, শফিউল ৬; সাকিব ২/১৬, নবী ১/১৮, সানি ২/২৭, পেরেরা ১/১৯, সজীব ১/১০)।রংপুর রাইডার্স: ১৭ ওভারে ১১৩/১ (জহুরুল ৪৭, সৌম্য ৫৮*, সাকিব ১*; আমির ০/৭, তাসকিন ০/১৭, শফিউল ১/২২)।ফল: রংপুর ৯ উইকেটে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সৌম্য সরকার। | 179,277 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জুলাই ২০১৬, ০০:৩৭ | ১৭ জুলাই ২০১৬, ০০:৩৮ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | অসাম্প্রদায়িক চেতনার উর্বর ভূমি চট্টগ্রাম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/916429 | আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত (ইসকন) আয়োজিত উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম অসাম্প্রদায়িক চেতনার উর্বর ভূমি। এখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে প্রত্যেকে যার যার ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশে জঙ্গিবাদী এবং গুপ্তহত্যার যে তৎপরতা শুরু হয়েছে তা ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না।১৪ জুলাই ডিসি হিল প্রাঙ্গণে আয়োজিত উল্টো রথযাত্রায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ইসকনের সহসভাপতি শ্রীপাদ নবদ্বীপ দ্বীজ গৌরাঙ্গ দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ও সুমন চৌধুরীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের নেতা রাখাল দাশ গুপ্ত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ, পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সভাপতি প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ, সিডিএ বোর্ড মেম্বার ইউনুছ গনি চৌধুরী প্রমুখ।আলোচনা সভা শেষে ইসকনের উল্টো রথযাত্রা ডিসি হিল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নন্দনকানন ইসকন রাধামাধব মন্দিরে এসে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি। | 240,897 |
কমল জোহা খান, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ মে ২০১৯, ০৮:৩৮ | ০৭ মে ২০১৯, ১১:৫২ | আবহাওয়া,পরিবেশ,প্রকৃতি,প্রাকৃতিক দুর্যোগ,বৃষ্টিপাত | null | আবহাওয়া কেমন যাবে, জানা যাবে অনেক আগে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1592400 | • পূর্বাভাসব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে• দেশে ২০০ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে• গভীর সাগরে পূর্বাভাসব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে• বিভাগীয় শহরে হচ্ছে রেইন গেজ স্টেশন• নদ-নদীর পানি হ্রাস-বৃদ্ধির তথ্য মিলবে ২৪ ঘণ্টাবর্ষা আসার বেশ আগেই গত বছর মার্চ মাস থেকে দেশে বৃষ্টি হয়েছিল। এ সময় প্রায় প্রতিদিন আকাশ কালো করে ঘন মেঘ জমে বয়ে যেত কালবৈশাখী। এর সঙ্গে বজ্রপাতে মারা যায় শতাধিক মানুষ। কিন্তু এক বছর পর ২০১৯ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত দেশের আবহাওয়ার এই চিত্র অনেকটাই বিপরীত।মাঘ–ফাল্গুনে জেঁকে বসেনি শীত। বৈশাখ মাসেও কালবৈশাখী এবার এখন পর্যন্ত গত বছরের মতো বয়ে যায়নি। বৃষ্টিরও বেশ কম। আবহাওয়া ও জলবায়ুর এমন দ্রুত পরিবর্তনের কারণে পূর্বাভাসব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে ২০০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, গভীর সাগরে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পূর্বাভাসব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ জানতে রেইন গেজ স্টেশন স্থাপন করা হবে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম তথ্য জানিয়ে প্রাণহানি ও কৃষি উৎপাদনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে এর মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে দেশে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাসসেবার মান বাড়ানো হবে। তবে আধুনিক পূর্বাভাসব্যবস্থার সুফল আরও দুই বছর পর পাওয়া যাবে।এ জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ঋণে ‘বাংলাদেশ ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিস সার্ভিসেস রিজওনাল প্রজেক্ট’ নামে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুন মাসে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এই প্রকল্পের সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তর ছাড়াও যুক্ত রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড।প্রকল্পের অংশ হিসেবে নির্ভুল পূর্বাভাস পেতে ২০০টি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৯ এপ্রিল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।উপজেলা পর্যায়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানান আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান। গত ২৭ এপ্রিল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেসব এলাকায় বেশি, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে এই বিষয় বিবেচনা করা হবে।সারা দেশে বর্তমানে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৩টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগে ছয়টি করে ১৮টি, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দুটি করে চারটি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২টি, রাজশাহী বিভাগে পাঁচটি এবং বরিশাল বিভাগে চারটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোকে স্বয়ংক্রিয় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে। এর বাইরে আরও ১৫৭টি উপজেলায় নতুন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তবে এর মধ্যে বেশ কিছু পুরোনো পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের উপকূলীয় যেসব অঞ্চলে সামুদ্রিক ঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়, সেই অঞ্চলগুলোয় এবার তুলনামূলক বেশি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। একইভাবে নদীভাঙনকবলিত অঞ্চলগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি কৃষিকাজনির্ভর এলাকা নতুন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র করা হবে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মহানগরীগুলোয় জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। বর্ষাকালের অতিবৃষ্টি ছাড়াও আগাম বর্ষায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েন মহানগরবাসী। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগরীতে এই সমস্যা প্রকট। তাই ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজশাহী ও বরিশাল মহানগরীতে একটি করে মোট চারটি রেইন গেজ স্টেশন নির্মাণ করা হবে। রেইন গেজ স্টেশন থেকে এই চারটি মহানগরীর সেবা সংস্থাগুলো বৃষ্টির পূর্বাভাস, বৃষ্টির পরিমাণ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারবে।উপকার মিলবে কৃষকের: আবহাওয়াবিদদের মতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। কিন্তু আগাম বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, ঝড়, শিলাবৃষ্টি, খরাসহ নানা কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে কৃষিক্ষেত্র উপকৃত হবে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থকরী ফসল) মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে পূর্বাভাসের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। এরপর সেই তথ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তারপর সেই তথ্য স্থানীয় কৃষকদের কাছে দেওয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ সময়ের বিষয়। তাই ২০০টি নতুন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হলে স্থানীয়ভাবেই সঠিক পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। এর ফলে কৃষি কাজের ব্যবস্থাপনা ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।বন্যার আগাম তথ্য পাওয়া যাবে: অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া গেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সারা দেশে সাড়ে তিন শ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে এসব কেন্দ্র থেকে বন্যার আগাম তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। সনাতন পদ্ধতিতে কেবল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নদ-নদী পর্যবেক্ষণ করা যায়। রাতের বেলায় এ কাজ করা যায় না। এই প্রকল্পের আওতায় আরও ৩০৮টি কেন্দ্র স্বয়ংক্রিয় করা হবে। এর ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতি ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পরপর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া যাবে।সাগর থেকে মিলবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৩ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও বঙ্গোপসাগর থেকে আবহাওয়া–সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায়ই একাধিক ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হয়ে উপকূলীয় অঞ্চল আঘাত হানে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও থাইল্যান্ড গভীর সাগরে একাধিক পর্যবেক্ষণ যন্ত্র স্থাপন করেছে। বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্পে বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার তিনটি স্থানে পর্যবেক্ষণ যন্ত্র ‘ওশান বয়’ স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে দ্রুত সাগরের আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে।আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওশান বয় গভীর সাগরে ভাসমান অবস্থায় থাকবে। সাগরের তলদেশে কেবল দিয়ে আটকানো থাকবে। সেখান থেকে সাগর পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ করবে ওশান বয়। সেসব তথ্য সেন্সরের মাধ্যমে উপগ্রহে পাঠানো হবে। স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের থেকে সরাসরি আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে দ্রুত চলে আসবে।আবদুল মান্নান বলেন, ‘ভারতের বিশাল জলসীমা। তারা প্রায় দেড় শ ওশান বয় স্থাপন করেছে। থাইল্যান্ডও এদিক দিয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সহায়তায় তিনটি ওশান বয় স্থাপন করতে যাচ্ছি।’এ প্রকল্পের আওতায় সম্ভাব্য আবহাওয়া পরিস্থিতির তথ্য বিশ্লেষণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এ জন্য নরওয়েজিয়ান মেট্রলজিক্যাল ইনস্টিটিউট, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা, যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে যে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্র আবিষ্কৃত হচ্ছে, সে বিষয়ে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া হবে। তাদের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে প্রযুক্তি সহায়তা নিতে সাড়ে পাঁচ শ এমবিবিএস ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করবে আবহাওয়া অধিদপ্তর।সম্ভাব্য আবহাওয়া পরিস্থিতির তথ্য বিশ্লেষণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়ে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর। স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পূর্বাভাস প্রদানে আবহাওয়া অধিদপ্তর অতীতের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। এ জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বৈশ্বিক জলবায়র পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিবর্তন চিহ্নিত করতে উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য এখন নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি এসেছে। এই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার। আবার যতটা সম্ভব সঠিক পূর্বাভাস দ্রুত জানানোর প্রয়োজন রয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশ ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিস সার্ভিসেস রিজওনাল প্রজেক্টের কাজ চলছে। এর ফল পেতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। | 400,887 |
জাহিদ হোসাইন খান | life-style | জীবনযাপন | ১৭ জুলাই ২০১৩, ০০:০৩ | ১৬ জুলাই ২০১৩, ২৩:৪৫ | জেনে নিন,অধুনা | 0 | কাপড় পরিষ্কারে... | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/25062 | বৃষ্টি-বাদলের দিনে কাপড় ধোয়া ও শুকানোর ঝক্কি-ঝামেলা বেশ পোহাতে হয়। এ ঝামেলার হাত থেকে বাঁচতে সামর্থ্য থাকলে কিনতে পারেন ওয়াশিং মেশিন। কাপড় ধোয়া ও পানি ঝরানোর জন্য বেশ কাজে দেয় এই মেশিন। বাজার ঘুরে পাওয়া গেল নানা ধরনের ওয়াশিং মেশিনের খোঁজখবর।নানা আকারের ওয়াশিং মেশিনকাপড় ধোয়ার জন্য নানা ধরনের ওয়াশিং মেশিন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। ট্রান্সটেক, ওয়ার্লপুল, এলজি, সিঙ্গার, প্যানাসনিক, ফিলিপস, ওয়ালটনসহ বেশ কিছু ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিন আছে। পরিবারের সদস্যসংখ্যার ওপর নির্ভর করে ওয়াশিং মেশিন কেনা উচিত। ঢাকার কারওয়ান বাজারের ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকসের শোরুমের বিক্রয় নির্বাহী হুমায়ুন কবির জানান, প্রধানত দুই ধরনের ওয়াশিং মেশিন কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো হলো ড্রাম ও ফ্রন্ট লোডার। সাধারণ আকারের যেকোনো ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া ও পানি ঝরানোর কাজ একই সঙ্গে করা যায়। তবে কোনো মেশিনই শতকরা ১০০ ভাগ কাপড়ের পানি ঝরাতে পারে না। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পানি ঝরাতে পারে। বৈশিষ্ট্যভেদে কোনো মেশিন পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় বা আধা স্বয়ংক্রিয় (সেমি অটোমেটিক) আবার বেশ কিছু ম্যানুয়াল ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যায়। ওয়াশিং মেশিনে অটো বাটন টিপে পানি ও কাপড় স্পিন করাসহ সব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হয়। এ ছাড়া গুঁড়া সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার রাখার জন্য আলাদা বক্সও থাকে। কিছু মেশিনে হট ওয়াশের ব্যবস্থাও থাকে। ফলে বাটন টিপলেই মেশিনে গরম পানি সরবরাহ হয়। এ ধরনের মেশিনে কাপড় ধোয়ার জন্য মোটামুটি সময় লাগে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট। আবার ম্যানুয়াল ওয়াশিং মেশিনে প্রতিটি কাজ আলাদা বাটন টিপে করতে হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সিঙ্গার শপের ব্যবস্থাপক মো. সাইফুজ্জামান জানান, সিঙ্গারের ছয় কেজি টাব ওয়াশার ওয়াশিং মেশিনের দাম সাত হাজার ৭০০ টাকা। এ ছাড়া সিঙ্গারের আট কেজি ধারণক্ষমতার সেমি অটোমেটিক মেশিনের দাম ১২ হাজার ৬০০ টাকা। ট্রান্সটেক ওয়াশিং মেশিনট্রান্সকম ডিজিটালে ট্রান্সটেক ও ওয়ার্লপুল ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যায়। ট্রান্সটেকের সিঙ্গেল টাব সেমি অটোমেটিক মেশিনের দাম পড়বে সাত হাজার ৯০০ টাকা। আকারে ছোট হওয়াতে এটি ছোট পরিবার ও ব্যাচেলররা ব্যবহার করতে পারবেন। আর টুইন টাব সেমি অটোমেটিকের দাম পড়বে ১১ হাজার ৬০০ টাকা।ওয়ার্লপুল ওয়াশিং মেশিন ৬ দশমিক ৫ কেজি ধারণক্ষমতার ওয়ার্লপুলের ওয়াশিং মেশিনের দাম পড়বে ১৮ হাজার ৯০০ টাকা। আর ৬ দশমিক ২ কেজি ধারণক্ষমতার ওয়াশিং মেশিনের দাম ১৪ হাজার ৬০০ টাকা। ছয় কেজি ধারণক্ষমতার পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় ওয়াশিং মেশিনের দাম ২৮ হাজার ৯০০ টাকা, সাত কেজির ৩৬ হাজার ৯০০ ও আট কেজির দাম পড়বে ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা।সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিনসিঙ্গারের ছয় কেজি টাব ওয়াশার ওয়াশিং মেশিনের দাম সাত হাজার ৭০০ টাকা। আট কেজি আংশিক অটোমেটিক মেশিনের দাম ১২ হাজার ৬০০ টাকা। ছয় কেজির পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় মেশিনের দাম পড়বে ১২ হাজার ৯০০ টাকা।ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনছয় কেজি ধারণক্ষমতার ওজনের টপ লোডিং ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনের দাম ২৫ হাজার টাকা, ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিনের দাম ৩৭ হাজার টাকা।স্যামসাং ওয়াশিং মেশিনস্যামসাং কোম্পানির ওয়াশিং মেশিনগুলো দুই ধরনের—অটো ও ম্যানুয়াল সিস্টেমের। ৬ দশমিক ২ কেজির মেশিনের দাম ২৭ হাজার ৮০০ টাকা, ৬ দশমিক ৫ কেজির দাম ২৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং সাত কেজি ধারণক্ষমতার মেশিনের দাম ৩০ হাজার ৮০০ টাকা।এলজি ওয়াশিং মেশিনএলজি ব্র্যান্ডের বেশ কটি মডেলের ওয়াশিং মেশিন কিনতে পাওয়া যায়। সাত কেজি ধারণক্ষমতার অটো ওয়াশিং মেশিনের দাম পড়বে ২৭ হাজার ১০৫ টাকা, নয় কেজি ধারণক্ষমতার দাম ৩৪ হাজার ৭৫৫ টাকা, ১২ কেজির দাম পড়বে ৩৭ হাজার ২৫৫ টাকা। এ ছাড়া ম্যানুয়াল পাঁচ কেজি ধারণক্ষমতার ওয়াশিং মেশিনের দাম ১৬ হাজার ২৮৫ টাকা।অন্যান্য ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিনশার্প ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যাবে ধারণক্ষমতাভেদে ১৮ হাজার ৫০০ থেকে ৪২ হাজার টাকার মধ্যে। গোল্ডস্টার ব্র্যান্ডের ৬ দশমিক ৫ কেজি ধারণক্ষমতার মেশিনের দাম পড়বে ১৯ হাজার ৫০০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাজারে ফিলিপস, প্যানাসনিক, হায়েস, র্যাংগসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও নন ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিন কিনতে পাওয়া যায়।খেয়াল রাখুন বেশি তাপমাত্রার গরম পানি মেশিনে ব্যবহার করা যাবে না। স্পিনিংয়ের সময় ওয়াশিং মেশিনের ঢাকনা বন্ধ রাখুন। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে কাপড় ধোয়ার সাবানের পরিবর্তে মেশিনের জন্য লিকুইড সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। কাপড়ের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা ভাবে ধুতে হয়। সুতি কাপড়ের সঙ্গে ভারী জিনম ধুবেন না। কাপড়ের ময়লার ওপর নির্ভর করেই ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। ওয়াশিং মেশিনের ভোল্টেজ ওঠানামা করলে মেশিনের ক্ষতি হতে পারে, এ জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করতে পারেন। মেশিনে ধোয়া কাপড় অবশ্যই রোদে বা বাতাসে কিছুক্ষণ মেলে রাখবেন। মেশিনের পানির পাইপ সব সময় পরিষ্কার রাখুন। কন্ট্রোল প্যানেলে পানি বা ডিটারজেন্ট যাতে প্রবেশ না করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। | 3,158 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৮ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৯ | বিশাল বাংলা | 0 | গভীর নলকূপ চালু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1044933 | নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রয়না মৌজায় গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) পক্ষ থেকে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। নলকূপটি ওই এলাকার ১০০ একর ফসলি জমিতে শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। এর উদ্বোধন করেন নাটোর-৪ আসনের সাংসদ আবদুল কুদ্দুস। নাটোর প্রতিনিধি | 276,731 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৫১ | ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৫২ | চট্টগ্রাম,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | ভগ্নিপতিকে খুন করে থানায় হাজির শ্যালক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1002403 | জরুরি কাজে ভগ্নিপতি শহরের বাইরে গেছেন, রাতে ফিরবেন না—গত রোববার দুপুরে বোন প্রিয়াঙ্কা ধরকে ফোন করে এ কথা জানান ছোট ভাই বাবলু ধর। প্রিয়াঙ্কা তখন বাচ্চাদের নিয়ে স্কুল থেকে চট্টগ্রামের টেরিবাজার এলাকার নিজ বাসায় ফিরছিলেন। তাঁর বাসাতেই থাকেন বাবলু। ভাইয়ের কথা বিশ্বাস করে বোন আর নিজের বাসায় যাননি। সন্তানদের স্কুলে দিয়ে সেখান থেকেই নগরের পাথরঘাটায় বাবার বাড়ি চলে যান।সোমবার সকাল নয়টা। চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় হাজির হন বাবলু। পুলিশকে জানান, ভগ্নিপতি অঞ্জন ধরকে (৩৫) ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন তিনি। লাশ বস্তাবন্দী করে বাসায় রেখে এসেছেন। বোনকে নির্যাতন করায় ভগ্নিপতিকে খুন করেছেন তিনি।অঞ্জন ধর নগরের হাজারী গলির একটি সোনার দোকানের কারিগর। একই দোকানে বাবলু ধরও (২১) কাজ করেন। আট বছর আগে তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা ধরের সঙ্গে অঞ্জন ধরের বিয়ে হয়।খুনের বিষয়ে পুলিশকে দেওয়া বাবলু ধরের বর্ণনা অনুযায়ী, রোববার সকালে সাত বছর বয়সী মেয়ে ও তিন বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান তাঁর বোন। তখন ভগ্নিপতি অঞ্জন ও তিনি বাসায় ছিলেন। বোন চলে যাওয়ার পর শোবার ঘরে অঞ্জনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ বস্তাবন্দী করে রাখেন। পরে বাসা থেকে বের হয়ে রক্তমাখা কাপড়চোপড় একটি খালে ফেলে দেন। আর বোনকে ফোন করে জানান, তাঁর ভগ্নিপতি একটি কাজে মানিকছড়ি গেছেন। স্কুল ছুটি হলে বাচ্চাদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যেতে বলেন।পুলিশ জানায়, লাশটি বাসার বাইরে নিয়ে কোথাও ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও শেষ পর্যন্ত তাতে সফল হতে পারেননি বাবলু। কেরোসিন ঢেলে লাশটি পুড়ে ফেলার চিন্তাও করেছিলেন একবার। কিন্তু সেটিও করেননি। পরে সকালে থানায় হাজির হয়ে খুন করার কথা স্বীকার করেন।টেরিবাজারের ওই বাসার নিচে পুলিশের উপস্থিতিতে গতকাল দুপুরে প্রিয়াঙ্কা ধর প্রথম আলোকে বলেন, স্বামী ও ভাইকে দীর্ঘ সময় ধরে মুঠোফোনে না পেয়ে রোববার রাত ১২টার দিকে সন্তানদের নিয়ে তিনি আবার নিজের বাসায় ফেরেন। কিন্তু দরজার বাইরে দুটি তালা দেওয়া থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেননি। পরে আবার পাথরঘাটায় বাবার বাসায় ফিরে যান। গতকাল সকালে পুলিশ খবর দিলে বাসায় এসে তিনি স্বামীর বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পান। তিনি বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য কলহ ছিল। কিন্তু স্বামীকে এভাবে মেরে ফেলবেন ভাই, এর কিছুই তিনি জানতেন না।সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক এ এম ফারুক বলেন, নিহত ব্যক্তির গলা, বুকসহ শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি বাসায় পাওয়া গেছে।টেরিবাজারের ওই ভবনের মালিক পরিমল দত্ত বলেন, পুলিশ আসার পর তাঁরা জানতে পারেন অঞ্জনকে বাসার ভেতর খুন করা হয়েছে। দুই বছর আগে পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন অঞ্জন। ফ্ল্যাটে অঞ্জনের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও শ্যালক বাবলু থাকতেন। তিনি বলেন, ভবনটিতে কোনো প্রহরী নেই। সব ভাড়াটিয়ার কাছে মূল গেটের চাবি রয়েছে। রোববার রাতে অঞ্জনের স্ত্রীর সঙ্গে এক লোককে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে দেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি।পরিমল দত্ত পাঁচতলা ওই ভবনের নিচতলায় থাকেন।নিহত অঞ্জন ধরের গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর জলদি গ্রামে। ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে টেরিবাজারের বাসায় ছুটে আসেন বীণা ধর। তাঁর দাবি, প্রিয়াঙ্কা খুনের কথা আগে থেকে জানতেন না, এটা তিনি বিশ্বাস করেন না।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত ব্যক্তির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শ্যালক বাবলু হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। সব বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। | 256,942 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:০২ | ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:০৪ | বলিউড,ভারত | null | দিলীপ কুমার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1560603 | আবারও মুম্বাইর লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দিলীপ কুমারকে। বাসায় হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল রোববার রাতে ভারতের চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি অভিনেতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। নিউমোনিয়ার পাশাপাশি তাঁর বুকে ব্যথা আছে। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন অবনতি হয়নি। হাসপাতালে তাঁর পাশে আছেন স্ত্রী বরেণ্য অভিনেত্রী সায়রা বানু।আজ এই অভিনেতার টুইটার থেকে জানানো হয়, ‘নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত দিলীপ কুমার। গত রাতে প্রবীণ নায়ককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’কয়েক দিন আগেও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন সায়রা বানু জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন দিলীপ কুমার। এরপর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে যান তিনি।গত বছরের নভেম্বরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দিলীপ কুমার। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসকেরা তাঁকে ছেড়ে দেন। তখন চিকিৎসকেরা তাঁকে বাসায় বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। দিলীপ কুমারের বয়স ৯৫ বছর। | 378,997 |
প্রতিনিধি, শ্রীপুর, গাজীপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মে ২০১৯, ১২:২৭ | ১৯ মে ২০১৯, ১৩:৪৭ | গাজীপুর,শ্রীপুর,ঢাকা বিভাগ,বাজারদর,কেনাকাটা | null | এক কিলোমিটারের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1594564 | ইফতার শেষে কাঁচা তরকারির একটি বাজারে বিক্রেতা এক কেজি লম্বা বেগুনের দাম হাঁকছেন ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১৫ টাকা। প্রায় কাছাকাছি সময়ে এক কিলোমিটার দূরের আরেকটি বাজারে প্রতি কেজি বেগুনের দাম ৫০ ও ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা হাঁকা হয়। উৎপাদনকারী ও ক্রেতার মাঝখানে মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্বের কারণেই দামে এমন তারতম্য, বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা বাজার ও এক কিলোমিটার দূরের মাওনা চৌরাস্তা কাঁচাবাজার ঘুরে সবজির দামের এই তারতম্য পাওয়া যায়। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের মাওনা চৌরাস্তায় অবস্থিত মাওনা চৌরাস্তা কাঁচাবাজার। এই বাজারের মাত্র এক কিলোমিটার পশ্চিমে মাওনা বাজার।মাওনা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০-৩০ টাকা, কচুর লতি ২০-২৫, কাঁকরোল ৩০-৩৫, চিচিঙ্গা ১০-১৫, পটোল ২০-২৫, করলা ২০-৩০, ধুন্দুল ১০, মিষ্টিকুমড়া মাঝারি ২৫-৩০, শিং মাছ ১৫০-৪০০, তেলাপিয়া ১০০-১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। প্রায় একই সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মাওনা চৌরাস্তা কাঁচাবাজারে কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০, কাঁকরোল ৪০-৫০, চিচিঙ্গা ৩০-৪০, পটোল ৩৫-৪০, করলা ৪৫-৫০, ধুন্দুল ২৫-৩০, মিষ্টিকুমড়া মাঝারি ৪০-৬০, শিং মাছ ২৫০-৫০০, তেলাপিয়া ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।স্বল্প দূরত্বে দামের এই পার্থক্যের বিষয়ে মোহাম্মদ আমিনুল নামে কাঁচা তরকারির এক ব্যবসায়ী জানান, গ্রামের সাধারণ কৃষক তাঁদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি মাওনা বাজারে নিয়ে যান। তাঁরা সরাসরি ক্রেতার কাছে বিক্রি করেন। ফলে দাম কম হয়। কিন্তু একই পণ্য দু-একজন মধ্যস্বত্বভোগীর হাত হয়ে মাওনা চৌরাস্তায় যায় বলে সেখানে দামটা বেশি পড়ে। আরেক ব্যবসায়ী জহির মিয়া জানান, মাওনা বাজারে আশপাশের গ্রাম থেকে প্রচুর সবজি আসে। তা ছাড়া এই বাজারে বসার জায়গার ভাড়া অনেক কম। অথচ মাওনা চৌরাস্তা কাঁচাবাজারে বসার জায়গার ভাড়া অনেক বেশি।উপজেলার চকপাড়া গ্রামের সবজিচাষি সিদ্দিকুর রহমান জানান, তাঁদের সবজি কিনে আড়তে নিয়ে যান পাইকারেরা। সেখান থেকে শহরের কাঁচাবাজারে নিয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হয়। পাইকার থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতারা লাভ ঠিকই করতে পারছেন।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমাতুজ জোহরা গতকাল শুক্রবার বলেন, কাঁচাবাজারের মূল্যের এই পার্থক্যের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। | 402,467 |
আব্দুল্লাহিল ওয়ারিশ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৩, ০৯:০৯ | ১৩ নভেম্বর ২০১৩, ০৯:১৫ | -1 | null | প্রলম্বিত হরতাল, আগুন পণ্যের বাজার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/72868 | রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার মৌলভীবাজার। প্রধান সড়কের পাশের প্রায় সব দোকান বন্ধ। কেবল বাজারের ভেতরের দোকানগুলো খোলা। তাও পণ্যের দাম বেশি। পাইকারি বাজারের এই দামের প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।১৮-দলীয় জোটের ৮৪ ঘণ্টা হরতাল চলাকালে সোম ও মঙ্গলবার মৌলভীবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।গতকাল মঙ্গলবার সকালে এই বাজারে বিভিন্ন পণ্য কিনতে এসেছিলেন খুচরা ব্যবসায়ী আবু হানিফ। তিনি বলেন, ‘আমদানি করা পেঁয়াজ সোমবার কিনেছি ৯০ টাকা কেজি। আজ এসে দেখছি ৯৫ টাকা। এ ছাড়া আদা ও রসুনের দামও বাড়তি। এক দিনের ব্যবধানে অধিকাংশ জিনিসের দাম বেড়েছে। তাই বেশি দামে বেচতে হবে। আবার বাড়তি দাম চাইলে ক্রেতারা খেপে যান।’মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী কামাল স্টোরের মালিক মো. জামাল উদ্দিন হরতালে জিনিসের দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বৃহত্তম কাঁচামালের আড়ত শ্যামবাজারে সোমবার রাতে প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে তাঁকে। গতকাল মঙ্গলবার তিনি প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া আমদানি করা আদা, রসুন ও পেঁয়াজও এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে।মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, হরতালের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক আসছে না রাজধানীতে। দু-একটি যা আসছে, সে জন্য দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ফলে পণ্যের দামে এর প্রভাব পড়ছে।আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরকারি ও বিরোধী দলের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করা হয়েছে। এতে হরতালের মতো কর্মসূচি না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা? সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবে না।’এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, গত শুক্রবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন, আলু, শুকনো মরিচ, আদার দাম কেজিপ্রতি প্রায় পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। কেবল এক দিনের ব্যবধানে (সোম ও মঙ্গলবার) কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। তাঁরা জানান, হরতালের কারণে শ্যামবাজারের মোকামে পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকছে না। দু-একটি যা আসছে তা দিয়ে ব্যবসায়ীদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই বেশি দামে বিভিন্ন পণ্য কিনতে হচ্ছে তাঁদের।ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবারের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার প্রতি কেজি আলুর দাম অন্তত সাত টাকা বেড়েছে। গতকাল এক কেজি আলু ২৩ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া শুক্রবার যে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল গতকাল তার দাম ছিল ১০০ টাকা। আর ৮৫ টাকার আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ৯৫ টাকায়। অন্যদিকে ৫০ টাকার দেশি রসুন ৭০, ৬০ টাকার আমদানি করা রসুন ৮০, ৮০ টাকার দেশি আদা ১০০ ও ১২০ টাকার আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়।এ ছাড়া চার দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রকার ডালের দাম কেজিতে প্রায় পাঁচ টাকা বেড়েছে বলে মৌলভীবাজারের তারা স্টোরের মালিক মো. নাঈম উদ্দিন জানান। তবে মসলার দাম স্বাভাবিক রয়েছে।এদিকে পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার এই প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়তে দেখা যায়। গতকাল কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গিয়ে খুচরা বাজারে এক কেজি আলু ২৩ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়, যা হরতালের আগের দিনই ছিল ১৫ টাকা। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ১০৫, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০, দেশি রসুন ৭৩ থেকে ৭৫, আমদানি করা রসুন ৮৫, দেশি আদা ১১০, আমদানি করা আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। পাশাপাশি সব ধরনের সবজির দামও দেড় থেকে দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, হরতাল হলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে আগুন লাগে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও সব ধরনের সবজির দাম মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়। ফলে বাজারে গিয়ে এক প্রকার ঝামেলায় পড়ে যান ভোক্তারা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এবং হরতালের মতো কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য আমরা সরকার ও বিরোধী দলের কাছে অনুরোধ জানাই।’ | 27,623 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ১২:১৮ | ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ১২:২০ | ক্রিকেট | null | ভারত–সিরিজ ছাড়া টেস্ট–ওয়ানডে লিগে নেই পাকিস্তান | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1346256 | টেস্ট কিংবা ওয়ানডে ক্রিকেটের দুই সংস্করণই লিগ ভিত্তিতে শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আইসিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ ব্যাপারে একমত হয়েছে সদস্য সব দেশই। কিন্তু এখন পাকিস্তান বলছে, ভারত যদি ২০১৪ সালে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের স্বাক্ষরিত স্মারক মেনে না চলে, তাহলে আইসিসির লিগে যোগ দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জন্য স্বাক্ষরিত স্মারককেই এই মুহূর্তে দর-কষাকষির অনুষঙ্গ মনে করছে পাকিস্তান। এ ব্যাপারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নজম শেঠির বক্তব্য খুবই পরিষ্কার, ‘আমরা আইসিসির টেস্ট ও ওয়ানডে লিগের ব্যাপারে তখনই সম্মতি দেব, যখন ভারত ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারককে সম্মান জানিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে অংশ নেবে।’আইসিসির প্রস্তাব অনুযায়ী ২০১৯ বিশ্বকাপের পর শীর্ষ নয় দলকে নিয়ে হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যে যে দুটো দল শীর্ষে থাকবে, তারা সে বছর জুনে ইংল্যান্ডে ফাইনাল খেলবে। প্রতিটি দল এ সময়ে ছয়টি সিরিজ খেলবে, তিনটি ঘরের মাঠে ও তিনটি বাইরে। প্রতিটি সিরিজেই অন্তত দুটি ম্যাচ খেলতে হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে।অন্যদিকে, ওয়ানডে লিগ হবে ১৩ দল নিয়ে। ২০২০-২১ মৌসুমে শুরু হয়ে এটি চলবে ২০২৩ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত, প্রথমবার দুই বছর হলেও এরপর থেকে ওয়ানডে লিগ চলবে তিন বছর। সব দল এ সময়ে আটটি সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে, প্রতিটি তিন ম্যাচের সিরিজ। ফলে পাঁচ বা সাত ওয়ানডের সিরিজ দেখার দিন শেষ, এটা বলে দেওয়া যায়। তবে পয়েন্ট-পদ্ধতি কী হবে কিংবা প্রতি সপ্তাহের সফর পরিকল্পনা কেমন হবে—এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া যায়নি।পিসিবি-প্রধান মনে করেন, ‘ভারত-পাকিস্তান সিরিজ ছাড়া এই পদ্ধতি অকার্যকর। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ২০১৪ সালে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের কপি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’২০১৪ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ৬টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার ব্যাপারে মতৈক্য হয়। এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারকেও সই করে দুই পক্ষ। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রথম সিরিজটি পাকিস্তানের আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু ভারতকে রাজি করানোর অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তান সে সময় ব্যর্থ হয়। সূত্র: এনডিটিভি। | 341,642 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০২ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:২০ | ০২ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:২০ | বাণিজ্য | 0 | মান নির্ণয় ছাড়া এসএমই ঋণ শতভাগ ঝুঁকিপূর্ণ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/113266 | ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের (এসএমই) খাতে ঋণ দেওয়ার আগে গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের ঋণমান নির্ণয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাই ৩০ লাখ টাকার বেশি কোনো এসএমই প্রতিষ্ঠানকে ঋণমান (রেটিং) নির্ণয় ছাড়া ঋণ দিলে তার পুরোটাই ঝুঁকিভর সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা থেকে যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণমান এসএমই-১ নির্ণীত হবে তার ঝুঁকির পরিমাপ ধরা হবে ২০ শতাংশ, এসএমই-২ হলে ৪০ শতাংশ, এভাবে পর্যায়ক্রমে ঝুঁকি বিবেচনা করে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাসেল-টু নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। | 40,619 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০১ | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৫ | খবর | 0 | নকশীকাঁথার গানে পৃষ্ঠপোষক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড | http://www.prothom-alo.com/economy/article/838108 | স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় বাজারে এসেছে লোকগানের দল নকশীকাঁথার গানের অ্যালবাম নকশীকাঁথার গান। এ উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিলে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সালেহীনের হাতে অ্যালবামটি তুলে দেন নকশীকাঁথার ভোকাল সাজেদ ফাতেমী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের এইচআর প্রধান এম আহসান উল্লাহ খান ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজবা উদ্দিন আহমেদ। অ্যালবামটি বাজারে এনেছে লেজারভিশন। বিজ্ঞপ্তি। | 222,956 |
আবুল মোমেন | opinion | মতামত | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:৫১ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৭ | শিক্ষা,মতামত,আবুল মোমেন | 0 | মিলানেও উচ্চারিত হলো সংস্কৃতির গুরুত্বের কথা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/628795 | আরব বিশ্বে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের যোদ্ধাদের হাতে একের পর এক প্রাচীন সাংস্কৃতিক নিদর্শন ধ্বংস হওয়ার পর রণাঙ্গনের বাইরেও প্রতিকার নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক যে সংস্থাটি মানবসভ্যতার এসব মূল্যবান প্রত্নসম্পদ রক্ষার কাজে নিয়োজিত, সেই ইউনেসকো সংগতভাবেই এগিয়ে এসেছে। এরই রেশ ধরে ইতালির সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি–বিষয়ক মন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডেকেছিলেন মিলানে। মিলান এক্সপো ২০১৫-এর সম্মেলনকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমাদের সংস্কৃতিসচিবের সঙ্গে আমারও যোগ দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল।এতকাল সাংস্কৃতিক নিদর্শন রক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনা অথবা পাচারকারী দল। কিন্তু এ রকম স্বেচ্ছাপ্রণোদিত পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ এক অভাবিত ভয়ংকর বাস্তবতা। এ রকম পরিস্থিতি অভিনব, এ রকম প্রতিপক্ষও কল্পনাতীত ছিল সবার। মিলানে আলোচনার একটি মোদ্দা শিরোনাম ছিল: ‘জাতিসমূহের মধ্যে সংলাপের উপকরণ হিসেবে সংস্কৃতি’। এতে উপস্থিত ৮৫টি দেশের মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দিনে (গত ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট) ৫৭ জন কথা বলেছেন। প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ সময় ছিল চার মিনিট করে। ইতালির সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী ও লেখক দারিও ফ্রান্সেসচিনি এত সব কেউকেটা ব্যক্তিকে সামলেছেন ভালোভাবেই। মিনিট খানেকের বেশি বাড়তি সময় কেউ নিতে পারেননি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীকে বরাদ্দ সময়ের মধ্যেই কথা শেষ করতে হয়েছে। মাইক্রোফোনে কলম বেশ জোরেই ঠুকে সময়সচেতন করেছেন সবাইকে। বক্তৃতায় প্রত্যেকেই নিজ নিজ সংস্কৃতির মানবিক ঐতিহ্যের দিক তুলে ধরেছেন, পাশাপাশি সংস্কৃতি আদান–প্রদানের গুরুত্বও স্বীকার করেছেন। বাঙালি সংস্কৃতির মানবিক ঐতিহ্যের ধারা এবং বর্তমান সরকারের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী কঠোর ভূমিকার কথা আমাদের দিক থেকে সংস্কৃতিসচিব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন।মানবিক সংস্কৃতির ধারা ও সাংস্কৃতিক সম্পদ রক্ষা যে যুদ্ধের মাধ্যমে সম্ভব নয়, তা সবাই বুঝতে পারছেন। এটি কেবল স্থানীয় কিছু মানুষের সচেতনতাতেও সম্ভব হচ্ছে না; এর জন্য সবার চিন্তার নৈকট্য দরকার এবং তাই সব দেশ মিলে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলা জরুরি। এভাবে একটি সম্মিলিত বৈশ্বিক প্রয়াস দ্রুত প্রণীত ও বাস্তবায়িত হওয়া দরকার। সেই তাগিদ থেকেই মিলানের এ সম্মেলন।বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এ উপলব্ধি উপস্থিত নগণ্য আমাকে বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছে। এর একটি বিশেষ কারণ আছে। ১৯৭৫-এর পটপরিবর্তনের পর দেশে যখন আমাদের জন্য দম বন্ধ করা পরিবেশ, তখন তেমন কিছু না ভেবে শিশুদের আনন্দে-সৃজনে মাতিয়ে রাখার যে কাজ শুরু করেছিলাম, তা পাঁচ বছরের মধ্যে শিশুশিক্ষার কাজে টেনে নিয়েছিল আমাদের। কাজটার প্রাথমিক তাড়না এসেছে প্রতিষ্ঠান রক্ষার প্রয়োজনে। তার সঙ্গে ছিল শিশুদের মানসগঠনে বনিয়াদ তৈরিতে ভূমিকা রাখার তাগিদ। বুঝতে পারছিলাম শিক্ষা হলো মূল জায়গা, সেখানে কাজ না হলে তাদের মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলা যাবে না।কাজ শুরু করে বুঝতে পারলাম প্রথাগত শিক্ষার ধারা আমাদের কাজে আসবে না। নিজেদের পথ নিজেদেরই তৈরি করতে হবে। মাটি তৈরি না করেই শিশু-চারার কাছে ফল চাওয়ার যে প্রচলিত ধারা, তা আমাদের অন্যায় এবং নিষ্ঠুরতা বলে মনে হয়। আমরা দুটো বক্তব্যের ওপর জোর দিয়েছিলাম—ভয়হীন আনন্দময় পরিবেশে শিক্ষা এবং পরোৎকর্ষ নয়, অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি। অভিভাবকদের ডেকে বললাম আমাদের ওপর আস্থা রাখতে, ব্যক্তিগতভাবে আমি ও অধ্যক্ষা তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জিম্মাদার হতে চাইলাম। আমাদের কথা ছিল, এ বয়সে অন্তত তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ওরা কেবল গ্রহণ, সংগ্রহ ও সঞ্চয় করবে, এর পরিমাপের দায়িত্ব থাকবে কেবল স্কুলের। স্কুলই দেখবে তাদের ভান্ডারে কতটা ছড়া, কবিতা, গল্প, নানা তথ্য, বিভিন্ন ধারণা, জ্ঞানের কথাবার্তা জমা পড়ছে এবং যা জমছে তার মান কেমন। এ পর্যায়ে তাদের গোগ্রাসে নিতে দিন—সব ইন্দ্রিয় পূর্ণ সত্তায় নিতে থাকুক। আমরা বলেছিলাম, একটু চ্যালেঞ্জ দিয়েই, ওদের ভিত্তির পরিসরটা আমরা অনেক বড় ও গভীর করে দেব, তাতে বড় হয়ে কোনো পর্যায়েই আর তাদের ঠেকতে হবে না। তারা নিজের শক্তিতেই এগিয়ে যাবে। প্রথম বছরে আমাদের ওপর আস্থা রাখলেন ১৫ জন অভিভাবক। তাঁরা নানা রকম পরিবার থেকে এসেছেন—উচ্চশিক্ষিত চাকুরে, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, মাঝারি দোকানদার, তবে বেশির ভাগ ছিল নিম্নমধ্যবিত্ত চাকুরে পরিবারের ছেলেমেয়ে। বলাই বাহুল্য, অভিভাবকেরা নিশ্চিন্ত ছিলেন না, এ রকম নিরীক্ষাপ্রবণতার ঝুঁকি তাঁদের সব সময় ভাবিত রাখত। অধ্যক্ষা হিসেবে শিলা মাঠে থেকে অভিভাবকদের প্রাত্যহিক চাপ সামলে গেছেন। সবার কথা ছোট্ট পরিসরে বলা যাবে না, প্রথম যে ছাত্রটি ভর্তি হয়েছিল, টিঅ্যান্ডটির সীমিত আয়ের চাকুরে পিতার সন্তান, সে এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান। এভাবেই আমরা চলেছি এবং চেয়েছি চালিয়ে যেতে।আমরা চেয়েছি ওদের মনের সব কটা জানালা সব সময় খোলা রাখতে। পরীক্ষা একধরনের কপাট, আবদ্ধতা তৈরি করে। একে বড় করে তুলে বাধার প্রাচীর বানিয়ে কোনো চাপ তৈরি করতে চাইনি। প্রত্যেক ছাত্র গাইতে পারত, আবৃত্তি পারত, গল্প বলা, বিতর্ক—সবই পারত (এখনো স্কুলে ছাত্রসংখ্যা অনেক বাড়ার পরও বেশির ভাগই পারে)। ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রাক্তনীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও সপ্রতিভ সব পরিবেশনা দেখে উপস্থিত বহুজাতিক কোম্পানির এক প্রধান কর্তাকে এদের এই সপ্রতিভতা ও পারঙ্গমতা চমকে দিয়েছিল।শিক্ষা, ধর্ম, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, খাদ্য, সজ্জা, ভাষা, শিল্প—মানুষের চর্চিত ও আচরিত এবং সৃষ্ট ও কৃত সব কর্ম মিলে তৈরি হয় তার সংস্কৃতি। এর গোড়াপত্তন শৈশবে না হলে সর্বনাশএসবই শিশুদের কৃতিত্ব। আমরা কেবল তাদের সুপ্ত ক্ষমতাগুলো জাগিয়ে তুলতে ও রাখতে চেয়েছি, চেষ্টা করেছি অনাহূত অন্যায্য চাপের কারণে এসব যেন নষ্ট না হয়।আশির দশকের মাঝামাঝি থেকেই আমরা বাইরেও একটু বলতে থাকলাম—শিশুশিক্ষা মূলত একটি সাংস্কৃতিক কাজ। গানবাজনা বা কলা (আর্ট) অর্থে নয়, সৃজনশীলতা, সমরুচি, সৌন্দর্য ও মাত্রাজ্ঞানের মতো গুণের চর্চা ও তা আয়ত্ত করাই সংস্কৃতিচর্চা। নীতিবোধ ও মানবিকতার বিষয়ে সংবেদনশীলতাও এতে তৈরি হয়ে যায়। এই শেখার নৈপুণ্য মেলে কেবল যথার্থ সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে। তাই শিক্ষার সুফল পাওয়ার শর্ত হলো উপযুক্ত মানবিক সাংস্কৃতিক বাতাবরণ নির্মাণ। ফুলকিতে আমরা এই চেষ্টাই করেছি। প্রাথমিকে এভাবে তৈরি হলে তারা পরবর্তী উচ্চতর ধাপগুলো যোগ্যতার সঙ্গে পেরোতে পারে।যত দিন গেছে, দেশের অর্থনৈতিক বা মানুষের বৈষয়িক উন্নতি হলেও, সামাজিক সংকট ঘনীভূত হয়েছে। সামরিক ও ছদ্ম সামরিক শাসন তো বটেই, এমনকি গণতান্ত্রিক আমলেও এ সংকট কেবল ঘনিয়েছে। এর প্রতিষেধক যে যথার্থ শিক্ষা, তা কেউই তেমন ভাবেননি। একসময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, মাদক ও অপরাধ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে অনেককেই ভাবিত করেছে। প্রচলিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা নজরে পড়ল এবং মানসম্পন্ন আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা একটি বড় কাজ বলে মনে করলেন অনেকেই। এ ধারায় দেশের অগ্রণী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করল নালন্দা, ২০০১ সালে। এ স্কুল এখন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অনেকেরই মনোযোগ পাচ্ছে। এটা আশার কথা। কিন্তু এ দেশে যে স্কুলগামী ছাত্রের সংখ্যা চার কোটির অধিক; তাদের পরীক্ষামুখী মুখস্থ বিদ্যার দুঃস্বপ্নের (আইনস্টাইনের ভাষায়) মধ্যে ফেলে রেখে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি উদ্যোগ কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারবে সমাজে!তবে আশার কথা, সরকারের ভেতরেই অনেকে বিষয়টা নিয়ে ভাবছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সচেতন, সংস্কৃতিমন্ত্রী বিষয়টা বোঝেন ও কিছু করতে আগ্রহী, এবং শিক্ষামন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের আরও অনেকেই হয়তো এ নিয়ে ভাবেন। সচিবালয়েও কর্মকর্তাদের অনেকের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে। আমরা বুঝি, অভ্যস্ত ধারা থেকে নতুন একটি ধারায় আসার ঝুঁকি নিয়েও তাঁদের ভাবনা-দুর্ভাবনা রয়েছে। এটা আদতে আলাপ-আলোচনা ও মাঠপর্যায়ে পরীক্ষামূলক কাজ করে ক্রমে সর্বত্র বাস্তবায়নের বিষয়। তবে কোনো অবস্থাতেই সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। মাত্রাতিরিক্ত পরীক্ষার অব্যাহত মুখস্থের প্রবণতাই কেবল বাড়ছে না, চাপের মধ্যে থাকা ছাত্রদের মাদক, ধর্মান্ধতাসহ অন্যান্য ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। নিজেদের জানা-বোঝার ঘাটতি সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই হচ্ছে না এবং পুঞ্জীভূত ঘাটতির বিপুল ফাঁক নিয়ে তারা সর্বোচ্চ শিক্ষার দুয়ারে এসে রীতিমতো হোঁচট খাচ্ছে। সেখানে তৈরি হয়েছে জ্ঞানের দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ এক বাস্তবতা।মিলানের সম্মেলন থেকে কেন ফুলকির কথায় এসেছি, সেটা আশা করি পরিষ্কার হয়েছে। পঁচাত্তরের পটপরিবর্তন এবং পরবর্তী অবক্ষয়ের মুখে ৩০ বছর আগে যে কথাটি ফুলকি বলেছিল, আজ দেখা যাচ্ছে তা অন্য এক ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বনেতাদের চিন্তায়ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।আসলে একজন মানুষ যতটা সামাজিক জীব, ততটাই সাংস্কৃতিক প্রাণী। শিক্ষা, ধর্ম, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, খাদ্য, সজ্জা,ভাষা, শিল্প—মানুষের চর্চিত ও আচরিত এবং সৃষ্ট ও কৃত সব কর্ম মিলে তৈরি হয় তার সংস্কৃতি। এর গোড়াপত্তন শৈশবে না হলে সর্বনাশ, কারণ এ সময়ই মনোজগতের ভিত তৈরি হয়ে যায়। বিষয়টা ফেলনা নয়, জাতির ভবিষ্যৎ এবং দেশের অগ্রগতির সঙ্গেই এটি যুক্ত।আবুল মোমেন: কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক। | 168,243 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:২৩ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:২৪ | -1 | 0 | ভারতে তীব্র বন্যায় প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রধানমন্ত্রীর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/703231 | ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বাসসের।গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠানো বার্তায় শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি ও শোক প্রকাশ করেন।শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে এই সংকটময় মুহূর্তে আমরা আপনার পাশে আছি।’রাজধানী চেন্নাইসহ তামিলনাড়ুর বিস্তীর্ণ এলাকা এক সপ্তাহের প্রবল বর্ষণে তলিয়ে থাকায় বিপর্যয়ে পড়েছে ৩০ লাখের বেশি মানুষ। দুর্গত মানুষের উদ্ধারে ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দর ও তামিলনাড়ুর প্রধান বিমানবন্দর। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। | 180,485 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০৫ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০৫ | বাণিজ্য | 0 | চাঁদপুরে লোটোর প্রদর্শন কেন্দ্র | http://www.prothom-alo.com/economy/article/151156 | চাঁদপুর শহরের রজনীগন্ধা মার্কেটে ইতালীয় ব্র্যান্ড লোটোর একটি আউটলেট বা শাখা খোলা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর ও লোটো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জামিল ইসলাম সম্প্রতি শাখাটির উদ্বোধন করেন। এ সময় লোটো বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শাখাটিতে পুরুষ ও নারীদের বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা ও পোশাকপণ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি। | 52,899 |
অভিনেত্রী ও নির্মাতা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:০০ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:০২ | -1 | 0 | মানুষে মানুষে বিভাজনের অধিকার কারও নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1323831 | একাত্তরে আমরা সীমান্ত পার হওয়ার সময় দেখেছিলাম কী অত্যাচার মিলিটারি জান্তারা করেছিল। তেমনই নির্যাতন আজ মিয়ানমারে হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, দেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করা, গুলিবর্ষণে শিশু হত্যা, নারী ধর্ষণ—সবই কী অমানবিক, কী মর্মান্তিক!মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আচরণের সমালোচনা করছে সারা বিশ্ব। অং সান সু চি কি তাঁর গৃহবন্দী দিনগুলোর কথা ভুলে গেছেন? এই সেনাবাহিনীই তো তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর শেষ দেখাটাও দেখতে দেয়নি। একবারও মনে পড়ছে না তাঁর নিজের সন্তানের কথা? এখন তিনি নিজেই কত মায়ের বুক খালি করছেন!আমরা মিয়ানমারের এই নিষ্ঠুর আচরণের নিন্দা জানাই। আরাকানে মানবিক বিপর্যয় রোধে জাতিসংঘের এখনই প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত। জাতিসংঘের হিসাবে শরণার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।এই মানুষগুলোর কী অপরাধ? যে শিশু বুঝতেই শেখেনি পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা, যে মা শিশুকে স্তন্য পানে ব্যস্ত, যে বাবা সংসারের ক্ষুধা মেটানো ও একটি সুখী সুন্দর গোছানো সংসারের দায়িত্বে মগ্ন, তাঁদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ হলো। গোলাগুলি, চিৎকার, আহাজারি। বাঁচার লড়াই—কার আগে কে পালাবে!রক্তে ভেসে যাচ্ছে নাফ নদীর পানি। পানির রং নেই, কিন্তু নাফের পানি আজ রঙিন। মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের প্রিয় রং কি লাল? ওরা পানির নীল রং দেখেনি? দেখেনি মাঠের সবুজ ঘাস, সোনালি রোদের হাসি? গভীর সমুদ্রের ঝিনুকের ভেতর সাদা মুক্তো দেখেনি কখনো?মুসলমান রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে থাকতে পারবে না কেন? তারা মানুষ নয়? তাদের পূর্বপুরুষদের ভিটে মিয়ানমারে। এত বছর তারা সেখানেই থেকেছে। তাদের ওপর নিষ্ঠুর মিয়ানমার সরকার গণহত্যা চালাচ্ছে। হিটলার-মুসোলিনির মতো।হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবার মূল পরিচয় একটাই—‘মানুষ’। রোহিঙ্গাদের মনুষ্যত্বের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ওদের বাপ-দাদার মাটিতে ওরা যেন ফিরে যেতে পারে। আল্লাহর চোখে আমরা সবাই এক জাত। মানুষে মানুষে বিভাজনের অধিকার কারও নেই। | 338,450 |
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৫১ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৫১ | বিশাল বাংলা | 0 | জড়িত যুবককে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/634797 | মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে মারধরের ঘটনায় জড়িত যুবককে গ্রেপ্তার এবং তাঁর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওই কলেজের ছাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট রোডের সার্কিট হাউস এলাকায় এ মানববন্ধন হয়।পুলিশ ও ওই ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী গত মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে রাজনগর উপজেলায় তাঁর বাড়ি যাওয়ার জন্য মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের বাসে ওঠেন। এ সময় পারভেজ আহমদ (২৫) নামের এক ব্যক্তি ওই বাসে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও ঝগড়া শুরু করেন। এরপর তিনি তাঁকে মারধর করেন। এতে ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়েন।ঘটনার দিনই ওই ছাত্রীর পরিবার রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইনুর আক্তারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে রাজনগর থানায় মামলাও করেছেন। তবে গতকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।রাজনগর থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা বলেন, এখনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।কলেজের চার শতাধিক শিক্ষার্থী গতকাল বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন চলাকালে ছাত্রীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পারভেজকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর শাস্তির দাবি করেছেন। মানববন্ধনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফয়েজ আহমদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো. আবদুল হালিম প্রমুখ বক্তব্য দেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, ‘এসব ঘটনার বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হওয়া দরকার। আমরা এই যুবকের শাস্তি চাই। যাতে অন্যরাও এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। | 169,995 |
আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ | education | শিক্ষা | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১৭ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১৮ | শিক্ষাঙ্গন,স্বপ্ন নিয়ে | 0 | বর্ষপূর্তির উৎসবে | http://www.prothom-alo.com/education/article/137389 | তিন বছর পরে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তন দর্শকে ঠাসা। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত একটানা নাচে-গানে-নাটকে হাসি আর করতালিতে মুখর ছিল মিলনায়তন। ২৫ জানুয়ারি সকালে কেক কেটে শুরু হয়েছিল অনুষ্ঠানের। মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৫৪তম এবং বিডিএস ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। মেডিকেল কলেজ মানেই ক্লাস-টিউটরিয়াল-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের যত ব্যস্ততা। এর আগে কলেজের এমবিবিএস ৫০তম ব্যাচ একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছিল তাদের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে। তারপর আর হয়নি। কেউ উদ্যোগ নেননি অথবা নিলেও পারেননি। এবার চরম উদ্যমী কিছু শিক্ষার্থীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি করা সম্ভব হয়েছে। সকালে এ উপলক্ষে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রা বের করেন। কেক কেটে বর্ষপূর্তির উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় কলেজের কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তন ঘিরে ছিল আলোকসজ্জা। নীল আলো ছড়ানো সন্ধ্যা বেশ স্বপ্নীল হয়ে ওঠে। মিলনায়তনের ভেতর ‘স্ফূরণ’ শিরোনামে এক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানে যেমন রবীন্দ্রসংগীতের আয়োজন ছিল, তেমনি রঙ্গরসে ঠাসা পুরো অনুষ্ঠান দর্শকদের হাসির খোরাক জুগিয়েছে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা থেকে শুরু করে সব আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রমী। ইদানীং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তারের বিষয়টি এসে যায়। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায়ও সেটা দেখানো হয়েছে। একজন উপস্থাপককে প্রভাব খাটিয়ে কীভাবে বিদায় করে মাইক্রোফোনের দখল নেওয়া হয়, আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর নাটিকা মেডিকেলীয় ভূত-ভবিষ্যৎ ও হার্ট আইটেম-এ দেখানো হয়েছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বাস্তবতা ও পেশাগত জীবন। পরিবেশিত হয়েছে বর্তমান বাংলা সিনেমা নিয়ে ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা আঁতেল আমার জান। কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসানের রচনা ও পরিচালনায় এতে ফুটে উঠেছে আমাদের বাংলা সিনেমার কী বেহাল অবস্থা! দর্শকেরা হাসিতে ফেটে পড়ে মানব কপি মেশিন ও রক্ত গরম এনার্জি ড্রিংকস নিয়ে ব্যঙ্গ বিজ্ঞাপনচিত্র দেখে।এ ছাড়া ছিল আকর্ষণীয় ফ্যাশন শো ও যুগল নৃত্য। ফ্যাশন শো করা হয়েছে আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি গানের সঙ্গে, জাতীয় পতাকা হাতে বিজয়ের গানের সঙ্গে, ছাতা মাথায় বাংলার বর্ষাকে নিয়ে, আবহমান বাংলার বসন্ত ও পয়লা বৈশাখ নিয়ে।অনুষ্ঠানে অনবদ্য পরিবেশনা ছিল যুগল নৃত্য। এতে অংশ নেন আশানূর ইসলাম সিনথী, জারিন তাসনিম শ্রাবণী, আবদুল্লাহ মামুন, পার্থ, বিজয়, প্রজ্ঞা, স্বর্ণা, লিমা, শোভন; ফ্যাশন শোতে অপু, ফারাহ, মিমি, রিয়েল, গিলবার্ট, আহ্নি, আসিফ, আজমী, ফারহানা রাব্বি প্রমুখ; নাট্যাভিনয়ে অংশ নেন সালেহ শুভ্র, জেসিকা জেসমিন, আসিফ ইকবাল, ফজলে রাব্বি, রিমপি মারুফ আহাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল ব্যান্ডদলের পরিবেশনা।শুরুতে আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক খলিলুর রহমান, ওবায়দুল্লাহ ইবনে আলী ও সহকারী অধ্যাপক আতাউর রহমান। আর শেষের দিকে এসে যোগ দেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া ও উপাধ্যক্ষ দায়েম উদ্দিন। | 48,330 |
বিবিসি | international | আন্তর্জাতিক | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৩ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৫৪ | যুক্তরাষ্ট্র | null | ট্রাম্পকে ‘টুইটার কন্যা’র চিঠি | http://www.prothom-alo.com/international/article/1067113 | সিরিয়ার আলেপ্পোয় মা-বাবার সঙ্গে যখন আটকা পড়া অবস্থায় দিন কাটছিল, তখনই বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিল বানা আল-আবেদ। মায়ের সহায়তায় টুইটারে নিয়মিত ধ্বংসস্তূপের ছবি পোস্ট করে ‘আলেপ্পোর টুইটার কন্যা’ হিসেবে খ্যাতি পায় সে। ডিসেম্বরে যুদ্ধবিরতির সুযোগে পূর্ব আলেপ্পো থেকে বেরিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নেয় বানা আবেদ ও তার পরিবার। বানা সম্প্রতি সপরিবারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তার পরিবার সিরীয় বিদ্রোহীদের সমর্থক। কিন্তু সিরিয়া নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। তাই সম্প্রতি ট্রাম্পের কাছে খোলা চিঠি লিখেছে বানা। তার মা ফাতিমা চিঠির একটি অনুলিপি বিবিসিকে পাঠিয়েছেন। এই চিঠি বানা লিখেছিল ট্রাম্পের অভিষেকের আগে। চিঠিতে সে লিখছে...প্রিয় ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমার নাম বানা আল-আবেদ। সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের সাত বছরের বালিকা। গত ডিসেম্বরে অবরুদ্ধ পূর্ব আলেপ্পো থেকে পালিয়ে আসার আগে পর্যন্ত আমি সিরিয়াতেই থাকতাম। আমি ওই সব শিশুদেরই মধ্যে পড়ি, যারা সিরিয়া যুদ্ধের ভুক্তভোগী। কিন্তু এখন তুরস্কের নতুন এক বাড়িতে আমি শান্তিতে আছি। আলেপ্পোতে আমি যে স্কুলে পড়তাম সেটা বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার কিছু বন্ধু সেখানে মারা গেছে। তাদের জন্য আমার খুব কষ্ট হয়। তারা যদি আমার সঙ্গে এখানে থাকত, আমরা একসঙ্গে খেলতে পারতাম। আলেপ্পোয় খেলতে পারতাম না আমি, কারণ সেটা ছিল মৃত্যুপুরী। তুরস্কে এখন আমি বাইরে যেতে পারি এবং আনন্দ করতে পারি। চাইলে স্কুলেও যেতে পারি। এখনো অবশ্য যাওয়া শুরু করিনি। এ কারণেই সবার জন্য শান্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার জন্যও বটে। কিন্তু সিরিয়ার লাখো শিশুর অবস্থা এখনো আমার মতো নয়। তারা শান্তিতে নেই। সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের ভুক্তভোগী। তারা ভোগান্তিতে আছে বয়স্ক লোকদের কারণে। আমি জানি, আপনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন। আপনি কী অনুগ্রহ করে সিরিয়ার জনগণ ও শিশুদের রক্ষা করবেন? সিরিয়ার শিশুদের জন্য আপনাকে কিছু করতেই হবে, কারণ তারা আপনার সন্তানদের মতোই। তারাও আপনার মতো শান্তিতে থাকার অধিকার রাখে। আপনি যদি প্রতিশ্রুতি দেন সিরিয়ার শিশুদের জন্য কিছু করবেন, তাহলে ইতিমধ্যে আমি আপনার একজন নতুন বন্ধু হয়ে গেছি। আপনি সিরিয়ার শিশুদের জন্য কী করবেন, তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।’ | 287,212 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জুন ২০১৬, ১৫:২৮ | ১৮ জুন ২০১৬, ১৫:২৯ | -1 | null | রাষ্ট্র আইন হাতে তুলে নিচ্ছে: সুলতানা কামাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/891712 | রাষ্ট্র কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সভাপতি সুলতানা কামাল। তিনি বলেছেন, সুশাসনের অভাব থাকলে পদে পদে মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঘটতে থাকে।আজ শনিবার ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ’ নামের একটি উদ্যোগের আত্মপ্রকাশ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হয়।সুলতানা কামাল বলেন, ‘মানুষ আমাদের বলছে, ক্রসফায়ার হওয়ার পরে আপনারা কথা বলছেন কেন? যাদের ক্রসফায়ারে দেওয়া হচ্ছে, তারা অন্যের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। অতএব তাদের মানবাধিকার নেই। এই যে একটা বোধ সমাজে চলে আসে, যেনতেনভাবে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে—এটা কোনো আধুনিক, গণতান্ত্রিক, সুশাসনসম্পন্ন রাষ্ট্রের লক্ষ্য নয়।’সুশাসনের অভাবের একপর্যায়ে সমাজে হতাশা তৈরি হয় উল্লেখ করে সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘হতাশা থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাষ্ট্র নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। কোনো সমস্যা সমাধান করতে গেলে ছোটখাটো পথ খুঁজছে। অন্যদিকে মানুষ মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে, ফতোয়ার মাধ্যমে অমানবিক কার্যক্রমকে সমর্থন দিচ্ছে।’‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ’ দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে গঠিত একটি মঞ্চ। এটি জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করবে। এর আহ্বায়ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। | 233,252 |
দীদার চৌধুরী | education | শিক্ষা | ২৪ আগস্ট ২০১৩, ০২:০২ | ২৪ আগস্ট ২০১৩, ০২:০৩ | পড়াশোনা | 0 | বাংলা | http://www.prothom-alo.com/education/article/41518 | ঘাসফুল প্রিয় শিক্ষার্থীরা, অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। বাংলা বিষয়ের ওপর আলোচনায় আজ তোমাদের জন্য রয়েছে জ্যোতিরিন্দ্র মিত্র রচিত কবিতা ‘ঘাসফুল’। এসো তাহলে, শুরুতেই কবিতাটির মূলভাব জেনে নেওয়া যাক।‘ঘাসফুল’ কবিতার মূলভাব ঘাসের ছোট ছোট ফুল পরম আনন্দে বেঁচে আছে। জীবনকে ওরা উপভোগ করছে হাওয়ার দোলায় আর সূর্যকিরণের মায়ায়। গাছে ফুল ফুটলে আনন্দ পাওয়া চাই। ফুল ছিঁড়ে কিংবা পায়ের নিচে পিষে ওদের কষ্ট দেওয়া ঠিক নয়। ফুল ছেঁড়ার অর্থ ফুলকে মেরে ফেলা। গাছের যেমন প্রাণ আছে, ফুলেরও তেমনই প্রাণ আছে।প্রশ্ন: বাক্যগুলোর প্রদত্ত ভুল শব্দটি শুদ্ধ করে লেখো:ক. অত জোরে মাথা দোলাতে নেই, ঘাড়ে ব্যাথা হবে।খ. সকালে সূর্যের কিরন ততটা তীব্র হয় না।গ. আমাদের পায়ের নিচে যে মাটির পিথীবি তা-ই ধরাঘ. অন্ধকার আকাশে তারারা মিটমিট করে জলে।ঙ. ফুল গাছে পুল ফোটে।উত্তর:ক. অত জোরে মাথা দোলাতে নেই, ঘাড়ে ব্যথা হবে।খ. সকালে সূর্যের কিরণ ততটা তীব্র হয় না।গ. আমাদের পায়ের নিচে যে মাটির পৃথিবী তা-ই ধরাঘ. অন্ধকার আকাশে তারারা মিটমিট করে জ্বলে।ঙ. ফুল গাছে ফুল ফোটে। শিক্ষক (প্রা.), আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | 11,555 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ১২:৪১ | ২২ মার্চ ২০১৮, ১১:২৬ | হলিউড | 0 | ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭’ ছবির মুক্তি পেছাল | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/107122 | ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭’ ছবির গুরুত্বপূর্ণ ব্রায়ান ও’কনার চরিত্রে অভিনয় শেষ করার আগেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর নিহত হন অভিনেতা পল ওয়াকার। তাঁর মৃত্যুতে ছবিটির মুক্তির তারিখ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সম্প্রতি ছবিটির প্রযোজক ও অভিনেতা ভিন ডিজেল এর মুক্তির নতুন তারিখ নিশ্চিত করেছেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল মুক্তি পাবে ছবিটি।এ প্রসঙ্গে ভিন ডিজেল তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘পলের সঙ্গে সর্বশেষ যে দৃশ্য আমরা ধারণ করেছিলাম তাতে যেন জাদু ছিল। এখন আমরা সম্পাদনার কাজ করছি। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। ‘‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’’ অবশ্যই আলোর মুখ দেখবে। ছবিটি মুক্তি পাবে ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল। আমি জানি, পলই এই খবরটি আপনাদের সবাইকে প্রথম শোনাতে চায়।’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে এইসশোবিজ।তুমুল জনপ্রিয় ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ সিরিজের সপ্তম ছবিতে ব্রায়ান ও’কনার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন পল ওয়াকার। একটি দাতব্য অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে লস অ্যাঞ্জেলেসে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পল। সে সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর বন্ধু রজার রোডাস। হঠাত্ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে লাইট পোস্ট ও গাছের সঙ্গে গাড়িটি ধাক্কা খায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই বন্ধু রজারের সঙ্গে নিহত হন ৪০ বছর বয়সী পল ওয়াকার।পলের মৃত্যুতে ছবিটির কাজ থেমে যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। পরে ছবিটির পরিচালক জেমস ওয়ান জানান, পলকে ছাড়াই ছবিটির কাজ শেষ করবেন তিনি। ভিন ডিজেল ও নিল মরিটজ প্রযোজিত ছবিটি ২০১৪ সালের ১১ জুলাই মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও পলের মৃত্যুর পর মুক্তির তারিখ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সম্প্রতি এর মুক্তির নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল। অ্যাকশন ঘরানার ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন ভিন ডিজেল, ডোয়েন জনসন, মিশেল রড্রিগজ, জেসন স্ট্যাথাম, কার্ট রাসেল প্রমুখ। | 38,119 |
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মে ২০১৯, ১৩:৩১ | ১৯ মে ২০১৯, ১৪:১৪ | গৌরীপুর,অপরাধ,ময়মনসিংহ,ময়মনসিংহ বিভাগ,খুন | 0 | গৌরীপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1594579 | ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় পূর্ববিরোধের জের ধরে নুরুজ্জামান জনি (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের নওহাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন।নিহত নুরুজ্জামান জনির বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার কুমরি গ্রামে। তিনি মৃত সিদ্দিক মাস্টারের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার নুরু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে মাদক ব্যবসায় বাধা দিতেন নুরুজ্জামান। এ নিয়ে নুরু ও নুরুজ্জামানের মধ্যে বিরোধ ছিল। নুরু মিয়া মাদকের মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরবর্তী সময়ে জামিনে ছাড়া পেয়ে নুরু গ্রামে প্রচার করতে থাকেন, নুরুজ্জামান পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাঁকে (নুরু) গ্রেপ্তার করান। এ নিয়ে তাঁদের বিরোধ আরও বাড়ে। এ বছরের মার্চ মাসে নুরু নুরুজ্জামানের নামে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা করেন।গতকাল রাত আটটার দিকে নুরুজ্জামান নওহাটা বাজারে যান। সেখানে তাঁকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান। নুরুজ্জামানের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকাবাসী হত্যাকারী সন্দেহে কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করে।গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। | 402,451 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০১ জুন ২০১৬, ০০:০২ | ০১ জুন ২০১৬, ০০:০২ | যুক্তরাষ্ট্র | 0 | ‘গরিলা হত্যা সঠিক ছিল’ | http://www.prothom-alo.com/international/article/874189 | যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাটি শহরের চিড়িয়াখানায় শিশুকে বাঁচাতে গরিলা হত্যা করার সিদ্ধান্তকে আবারও সমর্থন করেছেন চিড়িয়াখানাটির পরিচালক। গত শনিবার চার বছর বয়সী একটি শিশু দেয়াল টপকে গরিলার বেষ্টনীর মধ্যে পড়ে গেলে একপর্যায়ে সেখানে থাকা গরিলাটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চিড়িয়াখানার পরিচালক থান মেইনার্ড বলেন, যেহেতু গরিলাটি উত্তেজিত ছিল ও দৃশ্যত শিশুটিকে আঘাত করতে যাচ্ছিল, সে ক্ষেত্রে তিনিও ওই একই অবস্থান নিতেন। উল্লেখ্য, হারাম্বি নামে গরিলাটিকে হত্যা করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ জেফ করউইন বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক একজন পুরুষের চেয়ে ছয় থেকে আট গুণ শক্তিশালী প্রাণীটির সঙ্গে সে সময় অন্য কিছু করা সম্ভবও ছিল না। এদিকে উদ্ধার হওয়া শিশুটির পরিবার এক বিবৃতিতে ত্বরিত পদক্ষেপের জন্য চিড়িয়াখানার কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।বিবিসি | 228,247 |
মিসবাহ্ উদ্দিন, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:২২ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:২৪ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর | 0 | পিপীলিকায় নতুন পাঁচ সুবিধা | http://www.prothom-alo.com/technology/article/761868 | ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার বাংলাদেশি ওয়েবসাইট (সার্চ ইঞ্জিন) পিপীলিকায় পাঁচটি নতুন সুবিধা যোগ করা হয়েছে। এগুলো হলো সাম্প্রতিক সংবাদ, কেনাকাটা, চাকরি খোঁজা, লাইব্রেরি ও বানান সংশোধনী। ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।সম্মেলনে পিপীলিকায় নতুন যুক্ত হওয়া সুবিধাগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ফলিতবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন মো. শহীদুর রহমান, পিপীলিকার প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবু নাছের ও সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন।পিপীলিকায় বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোর সংবাদ, বাংলা ব্লগ, বাংলা উইকিপিডিয়া ও সরকারি তথ্য একসঙ্গে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। পিপীলিকা লাইব্রেরিতে দেশীয় বিভিন্ন প্রকাশনী ও অনলাইনে বইয়ের দোকানের তথ্য পাওয়া যাবে। এ বছরের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের তালিকাও পাওয়া যাবে। পিপীলিকা জব সার্চ ব্যবহার করে সব চাকরির খবর একসঙ্গে পাওয়া যাবে। বাংলা বানানের সন্দেহ দূর করতে বানান সংশোধনীর সুবিধাও যুক্ত করা হয়েছে। সবশেষে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপস্থিত বক্তারা।ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী চলবে বাংলা বানান নিয়ে তৈরি গেম শব্দকল্পদ্রুম ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার হিসেবে স্মার্টফোন জেতার সুযোগ রয়েছে। বিস্তারিত: www.pipilika.com | 199,596 |
যশোর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মে ২০১৭, ০১:২২ | ০৮ মে ২০১৭, ০১:২৩ | যশোর,খুলনা বিভাগ | 0 | মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ দূর হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1172521 | জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ গতকাল রোববার যশোরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেওয়া সম্ভব।বেলা ১১টায় যশোর জিলা স্কুল মিলনায়তনে সমাবেশ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিক ও ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের সব দাবি আদায় হবে। একই সঙ্গে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।’সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫৯টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৮২৭ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি অংশ নেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কাউন্সিলের মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যশোর জেলা ইউনিট কমান্ডার রাজেক আহম্মেদ।বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের পোশাক-পরিচ্ছদ ও আচার-আচরণ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তাঁরা। | 316,258 |
-1 | sports | খেলা | ২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০১:১৭ | ২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০১:১৯ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | পঞ্চম জুটিতে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/59782 | এবি ডি ভিলিয়ার্স ও গ্রায়েম স্মিথের ৩৩৮, এরপর মিসবাহ-আসাদ শফিকের ১৯৭। মাত্রই শেষ হওয়া দুবাই টেস্টে খেলল তো শুধু দুই দলের পঞ্চম উইকেট জুটিই। এই ম্যাচে পঞ্চম উইকেট জুটি রান করেছে মোট ৫৩৫। অবশ্য এতে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে মিসবাহ-শফিকের পঞ্চম উইকেটে জুটির কোনো অবদানই নেই। ২১০০ ম্যাচের টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে এক ম্যাচে এর চেয়ে বেশি রান উঠেছে মাত্র একবারই। ২০০৯ সালে পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচে ৫৬৩ রান আসে এই উইকেটে। ইংল্যান্ডের দুই ইনিংসে পল কলিংউড-ম্যাট প্রায়র ২১৮ ও প্রায়র-পিটারসেন ১০৬ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রেন্ডনন্যাশ-চন্দরপল ২৩৪ ও ন্যাশ-রায়ান হাইন্ডস ৫ রান যোগ করেছিলেন। | 23,745 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:০১ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:০২ | সাতক্ষীরা,কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | সড়ক দুর্ঘটনায় সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় নিহত ২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/622540 | কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় রাসেল আহমেদ (৩০) নামের এক বাইসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চৌড়হাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। একই দিন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি সড়কে ট্রাকচাপায় ইসমাইল হোসেন দফাদার (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হন। কুষ্টিয়ার পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রাসেল তাঁর বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে করে কুষ্টিয়া শহরে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়াগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে রাসেলের বাইসাইকেলের হাতল আটকে যায়। এতে রাসেল সড়কে পড়ে গেলে ট্রাকটি তাঁর দেহের এক পাশে চাপা দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলাকালীন তিনি মারা যান। রাসেল কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস এলাকার মোহাম্মদ বুলুর ছেলে। সাতক্ষীরার দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বামনয়ালী গ্রামের ইসমাইল হোসেন দফাদার সকাল ১০টার দিকে বাইসাইকেলে করে কলারোয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে বদ্দিপুর নতুন মসজিদের কাছে পৌঁছালে একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। | 166,087 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৯ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫০ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ইসলামবাগে আগুন একই পরিবারের তিনজন নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1090228 | পুরান ঢাকার ইসলামবাগে গতকাল শনিবার একটি চারতলা বাড়িতে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন মো. শামীম (৩৫), তাঁর স্ত্রী সীমা (২৭) ও শামীমের ভাতিজি সালেহা (৩৮)। এ ছাড়া আগুনে হজরত আলী (৩৫) নামের একজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।চারতলা ওই বাড়ির নিচতলায় থাকা প্লাস্টিক কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে তা পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। নিহত শামীম ওই কারখানার মালিক বলে জানা গেছে।ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলেছে, প্লাস্টিক কারখানায় গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন বাড়িটির ওপরের তিনটি তলায় ও পাশের দুটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলায় ওঠার সিঁড়িতে তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কামাল হোসেন বলেন, নিচতলায় পুরোনো প্লাস্টিকের কারখানা ছিল। কারখানাটি চালাতেন শামীম। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরোনো প্লাস্টিক সংগ্রহ করে তিনি কারখানায় রাখতেন। পরিবারসহ দ্বিতীয় তলায় তিনি থাকতেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আগুন লাগার আগে শামীম দ্বিতীয় তলায় দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। এ সময় ওই তলায় শামীমের স্ত্রী ও ভাতিজি ছিলেন। আগুনের কারণে তাঁরা বাড়ির বাইরে বের হয়ে আসতে পারেননি। দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলায় নামার সিঁড়িতে দগ্ধ হয়ে তাঁরা মারা যান।ফায়ার সার্ভিসের সদরঘাট স্টেশনের কর্মকর্তা বেলাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, চারতলা বাড়িটির প্রতি তলায় ছোট ছোট চার থেকে ছয়টি কামরা আছে। নিচতলার বারান্দার সঙ্গে টিনের বেড়া দিয়ে কারখানা তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থও ছিল। রাসায়নিকের কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জ্বলন্ত সিগারেটের ফেলে দেওয়া শেষ অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।আগুন নিয়ন্ত্রণের পর রাতে নিহত তিনজনের মরদেহ প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ও পরে সেখান থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন হজরত আলী সম্পর্কে চিকিৎসক বলেছেন, তাঁর শরীরের ১৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। | 297,304 |
বরিশাল অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৫০ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৫১ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | রাস্তা কেটে ধান চাষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/749674 | বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তা কেটে সেখানে চাষাবাদ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের একটি কাঁচা রাস্তা কলসকাঠি-ধাপকাঠি পাকা সড়কের সঙ্গে যুক্ত ছিল। রাস্তাটির মোল্লাবাড়ি থেকে পাকা (কলসকাঠি-ধাপকাঠি) সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৩০০ গজ কেটে সেখানে ধান চাষ করা হয়। এখনো কাটা অংশটি ধানি জমির চেয়ে উঁচু। ১৮ জানুয়ারি উঁচু অংশ কাটার কাজ শুরু করা হয়। বাকি অংশ খড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পাকা রাস্তায় ওঠার পথে কাঁটা দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। স্কুলশিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী এখন আর এই রাস্তা ব্যবহার করতে পারছে না। এতে গ্রামের ৩০টি বাড়ির পাঁচ শতাধিক মানুষ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে। দুর্গাপুর গ্রামের খাদিজা বেগম বলেন, ‘রাস্তা কাইট্যা খ্যাতের লগে মিলাইয়া দেছে। এহন আর কেউ পাকা রাস্তায় যাইতে পারে না। গ্রামের পোলাপান স্কুলে পর্যন্ত যাইতে পারে না।’দুর্গাপুর গ্রামের আবুল বাশার হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় ১৬ বছর আগে গ্রামবাসী এ রাস্তাটি নিজেদের খরচে নির্মাণ করে। সিডরের পর এটি একটি বেসরকারি সংস্থা সংস্কার করে দেয়। হঠাৎ গত বছরের আগস্টে রাস্তাটি কেটে ফেলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী। বহু জায়গায় ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।এই প্রতিবেদক দুর্গাপুর এলাকার ওই রাস্তায় বেশ কিছু নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলার সময় সেখানে হাজির হন রাস্তা কেটে ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত আলী হোসেন হাওলাদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে আগে একটি বেড়িবাঁধ ছিল। সেটাকে রাস্তা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। একসময় এই জায়গা হিন্দুদের ছিল, আমরা সেটা নিয়ে নিয়েছি। আমরা আমাদের জমিতে ধান চাষ করেছি।’ যাওয়ার সময় তিনি এলাকাবাসীকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যদি রাস্তা নিতে পারো, তাহলে নিয়ো।’গ্রামের নাছিমা বেগম, সেলিনা বেগম, জাকিয়া বেগম, রহিমা বেগম, শিক্ষার্থী খুশি বেগম, সীমা আক্তারসহ সবারই দাবি, রাস্তাটি সংস্কার করে পাকা সড়কে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘আমার জমিতে আমি চাষ করেছি। ওখানে কোনো রাস্তা ছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে আমার জমির কাগজপত্র দেখিয়েছি। আমার জমিতে কোনো রাস্তা দেব না।’এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘শুনেছি, চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে গত শনিবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছি। কিন্তু এক পক্ষ জায়গা নিজস্ব দাবি করে সেখানে রাস্তা করতে দেবে না বলায় বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি।’ | 195,417 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৬:২৮ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ২১:৩৮ | পরিবেশ,চট্টগ্রাম | 0 | চট্টগ্রামে ১৪৪ মি.মি. বৃষ্টি, ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/619201 | টানা বৃষ্টিতে আজ মঙ্গলবার সকালে বন্দরনগর চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত রোববার থেকে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী মাত্রার এই বৃষ্টি হচ্ছে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৪৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।এদিকে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং কক্সবাজারকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হয়েছে।আজ সকালে বৃষ্টিতে নগরের বাকলিয়া, পাথরঘাটা, চাক্তাইয়ের কিছু অংশ, ষোলোশহর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, কাপাসগোলা, শুলকবহর, হালিশহর এক্সেস সড়ক ও সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিও ওঠে অনেক জায়গায়। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে নগরে যানবাহন সংকট দেখা দেয়। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট।এ কারণে সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশার ভাড়া বাড়িয়ে দেন চালকেরা। বৃষ্টির সময় নগরের জিইসি মোড় থেকে আগ্রাবাদ যেতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া গুনতে হয় ১০০ টাকা। স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা।পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং কক্সবাজারকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।এদিকে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঢাকা, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হয়েছে।ছবিটি সকাল ৯টায় নগরের দুই নম্বর এলাকা থেকে তোলা।প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ২ নম্বর গেট এলাকায় সকাল ৯টায় ব্যাপক যানজট।যানজটের মধ্যে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্সও। ছবিটি সকাল ৯টায় নগরের দুই নম্বর এলাকা থেকে তোলা।সকাল ১০টায় চকবাজার এলাকার দৃশ্য।হাঁটু পানির মধ্যে বাজার করতে আসা লোকজনের ভোগান্তি।বৃষ্টির সঙ্গে যোগ হয়েছে জোয়ারের পানি। অনেক বাড়িতেও উঠেছে পানি।কর্মস্থলে যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে ভ্যানে করেই রওনা হন অনেকে। ছবিটি চকবাজার এলাকা থেকে তোলা।চকবাজার এলাকায় ডুবে যাওয়া একটি রাস্তা।দোকানেও ঢোকে গেছে পানি।দোকানের পানি সরানোর চেষ্টা এক দোকানির। | 164,768 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৯:২৬ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৯:৩৪ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | তামিম-ধোনিরা যে কারণে ‘দর্শক’! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/154941 | ফতুল্লায় পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল পর্দা উঠছে এশিয়া কাপের। প্রতিপক্ষ আটকানোর নানা ছক আঁকছে প্রতিটি দল। তবে এবার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে বোধ হয় ইনজুরি। প্রতিটি দলই কম-বেশি ইনজুরির থাবায় আক্রান্ত। গত এশিয়া কাপে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স স্মৃতির সরণিতে এখনো হেঁটে বেড়ায় দিব্যি! টুর্নামেন্টে পর পর চারটি হাফ সেঞ্চুরির পর যেভাবে হাতের আঙুল গুনে দেখিয়েছিলেন সবাইকে, সে দৃশ্য কী ভোলা যায়! সেবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে বিরাট কোহলির পরই নাম ছিল তামিমের। এবার দৃশ্য ঠিক উল্টো। চোটের কারণে মাঠেই নামতে পারবেন না এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। তামিমকে দর্শক হয়েই থাকতে হবে এবারের এশিয়া কাপে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের একটি ম্যাচেও খেলেননি। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়নি তাঁকে।ইনজুরির কারণে দলের বাইরে রয়েছেন ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সদ্যসমাপ্ত নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ দিকে ইনজুরিতে পড়েন ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ওয়েলিংটন টেস্ট চলার সময় ধোনির শরীরের বাঁ পাশের পেশিতে টান পড়েছে। ১০ দিনের পুনর্বাসনে যেতে হবে তাঁকে।’ এ টুর্নামেন্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোহলি। ধোনিবিহীন ভারতকে এশিয়া কাপে নেতৃত্ব দেওয়া চ্যালেঞ্জই মনে করছেন কোহলি, ‘সে (ধোনি) আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। দলকে ভালো নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ওয়ানডে পারফরমার হিসেবে খুবই ধারাবাহিক। তাঁর অধিনায়কত্ব এবং পারফরম্যান্স দুটিই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমরা এশিয়া কাপে মিস করব।’ওদিকে মাত্রই শেষ হওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সিরিজে ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফিরে গেছেন শ্রীলঙ্কার সিমার নুয়ান কুলাসেকারা ও ঝানু স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। আঙুলে ব্যথার কারণে ওপেনার তিলকারত্নে দিলশানকেও হয়তো দর্শক হয়ে দেখতে হবে এশিয়া কাপ।পাকিস্তানও ইনজুরিমুক্ত নয়। ফাস্টবোলার মোহাম্মদ ইরফান ইনজুরিতে পড়েছেন গত ডিসেম্বরে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে। এখনো পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি তিনি। তবে ইরফান না থাকলেও দলের খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই দাবি পাকিস্তানের বোলিং কোচ মোহাম্মদ আকরামের, ‘ইরফান আমাদের বিধ্বংসী বোলার। তবে তাঁর ওপর অতি নির্ভরশীল নয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওকে ছাড়াই তো ওয়ানডে সিরিজ জিতে এলাম।’বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার দুর্গে যেখান ইনজুরির হানা, সেখানে এ উপদ্রব থেকে এশিয়া কাপে প্রথমবার খেলতে আসা আফগানিস্তান একেবারেই মুক্ত। | 53,661 |
প্রতিনিধি, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ মে ২০১৯, ১৬:৪৭ | ২৩ মে ২০১৯, ১২:২৩ | সাতকানিয়া,অপরাধ,অপহরণ,মাদক,চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম | null | অপহরণের পর তাদের হাতে ইয়াবা তুলে দেওয়া হয়েছিল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1595333 | চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তিন ব্যবসায়ীসহ এক শিশুকন্যাকে অপহরণের পর ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে ফারুক আজিজ ওরফে ফারুক খান ওরফে সাহেদ (২৭) নামের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফারুক সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া সামিয়ারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জনার কেঁওচিয়ার মোনাফ চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় খুদে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ৯০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৌসুমি ফলের খুদে ব্যবসায়ী আলী আকবর, মো. ফরিদ, মো. শিপন ও আলী আকবরের ভাতিজি (১১) কেরানীহাট থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বান্দরবানের সুয়ালকে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের মনতলায় পৌঁছালে দুই যুবক অটোরিকশাটির গতি রোধ করেন। এ সময় ওই দুই যুবক নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে খুদে ব্যবসায়ীদের মাদক পাচারে জড়িত হিসেবে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ভয় দেখান। পরে ওই যুবকেরা শিশুকন্যাসহ চারজনকে অপহরণ করে পাশের মোনাফ চেয়ারম্যানপাড়ার একটি পরিত্যক্ত ফার্নিচারের দোকানে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে ওই পরিত্যক্ত ঘরে আরও দুই যুবক এসে খুদে ব্যবসায়ীদের আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। নয়তো ইয়াবা বড়ি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন বলে ভয় দেখানো হয়।পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয় এক যুবক রাত আটটার দিকে ইয়াবা বড়িসহ চারজনকে আটক করার বিষয়ে পুলিশের কাছে খবর পাঠান। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৮টি ইয়াবা বড়িসহ চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদেরকে অপহরণ করে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ইয়াবা বড়ি দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশেরও সন্দেহ হয়।সাতকানিয়া থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই খুদে ব্যবসায়ীদের ইয়াবা বড়িসহ আটক করার পর বিষয়টি সাজানো বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী ফারুক আজিজকে গ্রেপ্তার এবং ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফারুক আজিজসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ করার পর টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও মাদক আইনে পৃথক দুইটি মামলার প্রস্তুতি চলার পাশাপাশি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।খুদে ব্যবসায়ী মো. ফরিদ আজ বুধবার দুপুরে সাতকানিয়া থানায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা আমাদের অপহরণ করার পর টাকাগুলো কেড়ে নেন। পরে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ইয়াবা বড়ি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন বলে জানায় তারা। পরে ঠিকই তারা ইয়াবা বড়ি দিয়ে আমাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল।’ | 403,053 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৩৬ | ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৩৭ | গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,দুর্ঘটনা | 0 | শ্রীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1163746 | গাজীপুরে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেললাইনের শ্রীপুর স্টেশনের কাছে আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।নিহত ব্যক্তির নাম সুমন মিয়া (৩০)। তাঁর গ্রামের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারন গ্রামে।জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কেন ওই যুবক ট্রেনে কাটা পড়লেন, তা এখনো জানা যায়নি।গতকাল শনিবার গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রেললাইনে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। | 314,594 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৭ | ১২ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৯ | রাজধানী (জাতীয়),রাজনীতি | null | কর্মসূচি বেগবান করার আহ্বান জামায়াতের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/421789 | তীব্র গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে ২০-দলীয় জোট ঘোষিত কর্মসূচিকে আরও বেগবান করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান।গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে মুজিবুর রহমান বলেন, দেশের জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তার চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। অত্যাচার-নির্যাতনের পরিণতি কখনো শুভ হবে না। সরকারের উচিত গণদুর্ভোগ না বাড়িয়ে ২০-দলীয় জোটের দাবি মেনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া। | 106,060 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৭ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০২ | ১৭ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০২ | ভারত | 0 | রাজনাথের মাথায় টুপি মুখে বাজপেয়ির ছায়া | http://www.prothom-alo.com/international/article/194074 | ভারতে নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে সাম্প্রদায়িক কার্ড নিয়ে খেলার বিতর্কটা বেশ জমে উঠেছে। দিল্লির শাহি ইমামের সঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বৈঠক নিয়ে দুই শিবিরের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের মধ্যে এবার কয়েকজন মুসলিম নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি রাজনাথ সিং।নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার লক্ষৌতে মুসলিম ধর্মীয় নেতা কালবি সাদিক, খালিদ রশিদ ও কালবি জাওয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ সিং। আর এর পরদিনই প্রকাশিত হয়েছে লম্বা ঐতিহ্যবাহী টুপি মাথায় রাজনাথের একটি ছবি। চলতি মাসের শুরুর দিকে লক্ষৌতে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বাবা মীর কাশিমের দরগায় গিয়েছিলেন রাজনাথ। মাথায় টুপি পরা ছবিটি ওই সময় তোলা। ৫ এপ্রিল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দিল্লি জামে মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিজেপির নেতা রবিশংকর প্রসাদ অভিযোগ করেছিলেন, ‘সোনিয়া ও রাহুল ধর্মের ভিত্তিতে ভোটারদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।’এখন মুসলিম নেতাদের সঙ্গে রাজনাথের সাক্ষাৎ নিয়ে সমালোচনা করছে কংগ্রেস। তবে রাজনাথ বলেন, তাঁর এই সাক্ষাৎকে সোনিয়ার বৈঠকের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না। কেননা ভোটারদের মধ্যে ধর্মীয় আবেদন সৃষ্টির মতো কোনো কথা তিনি বলেননি।তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও বাইরের সমালোচকদের পাশাপাশি এ নিয়ে কথা হচ্ছে বিজেপির মধ্যেও। অনেকে বলছেন, রাজনাথ নিজেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি মতো উদারপন্থী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন।লক্ষৌতে মুসলিম ভোট আছে প্রায় সাড়ে চার লাখ বা মোট ভোটারের ২৫ শতাংশ। এখান থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হন বিজেপির নেতা বাজপেয়ি। অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদী আদর্শের দল বিজেপির মধ্যে মোটামুটি উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত রাজনাথ সিং।স্থানীয় দৈনিক লক্ষৌ অবজারভার-এর সম্পাদক মেহরু জাফর বলেন, ‘রাজনাথ সিং এবং বাজপেয়ি দুই প্রজাতির মানুষ।’ আর লক্ষৌয়ের সাবেক নবাব জাফর মির আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাজপেয়ি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির একজন মানুষ। তিনি আমাদের সবার ভালোবাসার পাত্র। লক্ষৌতে বাজপেয়ি ছাড়া অন্য কারও এতটা জনপ্রিয়তা নেই, তো তিনি যে-ই হোন না কেন।’ এনডিটিভি। | 66,499 |
প্রতিনিধি, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩৩ | ১৭ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৫ | অপরাধ,জঙ্গিবাদ,জঙ্গি বিরোধী অভিযান,গাজীপুর,বরিশাল,ঢাকা বিভাগ,বরিশাল বিভাগ | 0 | আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুজন গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1583793 | নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব-১১। গ্রেপ্তার দুজন হলেন গাজীপুরের কাপাসিয়ার মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন ওরফে সৌরভ (২৪) ও বরিশালের উজিরপুরের মাহাদী হাসান ওরফে মেহেদী হাসান ওরফে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ (২২)।আজ শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে র্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে। র্যাব-১১–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়। র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় দুজনের কাছ থেকে ল্যাপটপ, ‘উগ্রবাদী’ বই এবং ‘জঙ্গিবাদী’ লিফলেট উদ্ধার হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আলেপ উদ্দিন বলেন, মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন ওরফে সৌরভ ২০১৬ সাল থেকে নরসিংদীর পলাশে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ২০১৩ সালে অধ্যয়নরত অবস্থায় জসিম উদ্দীন রাহমানির বক্তৃতা শুনে উগ্রবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন। | 393,970 |
-1 | sports | খেলা | ০৫ জুলাই ২০১৪, ০২:০৩ | ০৫ জুলাই ২০১৪, ০২:০৭ | বিশ্বকাপ ফুটবল,বিশ্বকাপের তারা,খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | ফেবারিট মেসি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/259114 | প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের রক্ষণ বিশেষ পাহারায় থাকে তাঁর। বল পায়ে গেলেই তাঁকে ঘিরে ধরেন তিন-চারজন। তবু একের পর এক ম্যাচ বের করে আনছেন লিওনেল মেসি। চার ম্যাচের চারটিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া মেসি গোল করেছেন চারটি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন একটি । ৫ গোল করে কোয়ার্টার ফাইনালের আগ পর্যন্ত কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ শীর্ষ গোলদাতা থাকলেও গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে জুয়াড়িদের ফেবারিট তাই মেসি (৫/২)। রদ্রিগেজ আছেন তাঁর পরই (৩/১)। গোল্ডেন বল জয়ের লড়াইয়ে অবশ্য মেসির পাশেই আছেন নেইমার (৫/২)। তার পরে রদ্রিগেজ (৩/১)। রয়টার্স। | 75,059 |
এএফপি | international | আন্তর্জাতিক | ৩১ মে ২০১৭, ০০:১৪ | ৩১ মে ২০১৭, ০০:১৪ | যুক্তরাষ্ট্র | null | পুতিন আইএসের চেয়েও বড় হুমকি | http://www.prothom-alo.com/international/article/1199266 | যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান সিনেটর জন ম্যাককেইন বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) চেয়ে বড় হুমকি মনে করেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গত সোমবার তিনি এ মন্তব্য করেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজ রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে তাঁর সবচেয়ে কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ম্যাককেইন স্বীকার করেন, ট্রাম্পের আচরণ কখনো কখনো তাঁকে ‘বিচলিত’ করে তোলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ ছিল গণতন্ত্রের জন্য একটা বিপদ।মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির প্রধান ম্যাককেইন আরও বলেন, ‘আমি মনে করি পুতিনই প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হুমকি, আইএসের চেয়েও বড়। আইএস ভয়াবহ সব কাজ করতে পারে...কিন্তু রুশরা মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তিটা ধ্বংসের চেষ্টা করেছে এবং করছে। আমি ওদের সাফল্যের ইঙ্গিত পেয়েছি। কিন্তু ওরা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ম্যাককেইন অভিযোগ করেন, পুতিন একটা সার্বভৌম দেশ ইউক্রেনকে ভেঙে দিয়েছেন, বাল্টিক দেশগুলোকেও চাপ দিচ্ছেন। | 320,679 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:২২ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৬ | সংসদ,নারী স্বাস্থ্য | null | প্রতি এক লাখ শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ১৭৬ মায়ের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1558392 | ২০২২ সালের মধ্যে সরকার দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ‘এভরি মাদার এভরি নিউবর্ন সার্ভিস’ চালু করবে। এর মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মা ও শিশুর মৃত্যু হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।আজ বৃহস্পতিবার সংসদে নাভানা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল চারটার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে প্রতি এক লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ১৭৬ জন মা মারা যান। ২০২২ সালের মধ্যে এই হার ১০৫ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা আছে।আবদুল মতিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গত এক বছরে ৪৪৭ জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে।মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধে অনিয়মের প্রতিরোধে বিদ্যমান ওষুধ আইনকে আরও যুগোপযোগী ও কঠোর শাস্তির বিধান করতে প্রস্তাবিত ওষুধ আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, দেশে প্রতি বছর তিন লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এক লাখ লোক মারা যাচ্ছে। তামাক, দূষণ ও অনিরাপদ খাদ্যাভ্যাসের কারণে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজগুলোতে পুরোনো রেডিওথেরাপি মেশিন সরিয়ে নতুন মেশিন প্রতিস্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য দক্ষ চিকিৎসক বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। | 377,315 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ১৯:৩২ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ২১:০৪ | -1 | null | এমন রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন বুদ্ধিজীবীদের সন্তানেরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/732664 | মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়নকারী ছিলেন আলবদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী। মানবতাবিরোধী এই অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানেরা। তাঁরা এখন রায় কার্যকরের অপেক্ষায়।আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন।বিকেলে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শহীদ মুনীর চৌধুরীর ছোট ছেলে আসিফ মুনীর বলেন, এই রায় একদিকে জাতিকে দায়মুক্ত করেছে, অন্যদিকে শহীদ পরিবারগুলোর জন্য ন্যায়বিচার নিয়ে এসেছে।রায় বাস্তবায়নের দিন অনেক বেশি ভালো লাগবে উল্লেখ করে আসিফ মুনীর বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যায় আরও যারা জড়িত ছিল, যারা এখন বিদেশে পলাতক তাদেরও কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। প্রত্যেকের বিচার হোক’।শহীদ বুদ্ধিজীবী রাশিদুল হাসানের মেয়ে রোকাইয়া হাসিনা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই রায়ের জন্য অপেক্ষা করেছি। বিশেষ করে বাবাসহ লাখো মুক্তিযোদ্ধার রক্তের বিনিময়ে আনা লাল-সবুজের পতাকা যখন নিজামীর গাড়িতে তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া তখন থেকে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম’।রোকাইয়া হাসিনা বলেন, ‘নিজামী সব সময় দম্ভোক্তি দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করতেন। আজকে সমগ্র জাতি জানল তিনি অপরাধী। এই রায় যখন কার্যকর হবে তখন আরও ভালো লাগবে’।শহীদ জহির রায়হানের ছেলে অনল রায়হানও রায় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, নিজামী শুধু সাধারণ গণহত্যা নয় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়নে সরাসরি জড়িত। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়া শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তুলেছেন। আর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বুদ্ধিজীবীদের নিয়েই কটূক্তি করলেন। আজকের রায়ে প্রমাণিত তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করতে চাইছেন। কাজেই শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি চাই মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন হোক’। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।সুরস্রষ্টা আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ বলেন, ‘এই বাংলাদেশে নিজামী-মুজাহিদরা যখন মন্ত্রী হয়েছিল সেটা ছিল আমাদের জন্য গ্লানির। এই রায় একটা মাইলফলক। যাঁরা বলেন বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছে তাদের জন্য চপেটাঘাত। আমার মনে হয় মানবতাবিরোধীদের যেমনি ফাঁসি হচ্ছে তেমনি তরুণ প্রজন্মের ধারাবাহিক আন্দোলনে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে, মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন হবে, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি ক্রোক হবে।’শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর বলেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য আলবদর গঠিত হয়েছিল; যার প্রধান ছিলেন নিজামী। এর আগে তিনি ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন। তাদের পরিকল্পনাতেই বিজয়ের আগমুহূর্তে ঘাতকেরা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই রাজাকাররা’ ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আবার রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়। মন্ত্রীও হন। শহীদ পরিবারের জন্য এটি ছিল মারাত্মক যন্ত্রণার। আজকের রায়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীর পরিবার সুবিচার পাচ্ছে। যে নরঘাতকেরা জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী প্রজন্মসহ সারা পৃথিবীর জন্য এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’। | 189,702 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২৬ জুন ২০১৯, ২১:১৭ | ২৭ জুন ২০১৯, ১২:১৯ | ভারত,ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,শচীন টেন্ডুলকার,ওয়েস্ট ইন্ডিজ | null | হ্যাটট্রিক করা শামিকে পরের ম্যাচে চান না টেন্ডুলকার! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1601300 | ক্রিস গেইলকে ঘায়েল করতে মোহাম্মদ শামির চেয়ে ভুবনেশ্বর কুমারই বেশি কার্যকরী হবেন, এমনটাই মনে করছেন শচীন টেন্ডুলকার।বিশ্বকাপে এবার প্রথম সুযোগ পেয়েই মাত করেছেন মোহাম্মদ শামি। চেতন শর্মার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে। অথচ সেই শামিকেই কি না পরের ম্যাচে একাদশে চাইছেন না শচীন টেন্ডুলকার!না, কোনো ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে নয়, বরং ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই শামিকে পরের ম্যাচের একাদশে চাইছেন না শচীন। যার ইনজুরির সুবাদে একাদশে ঢুকেছিলেন শামি, সেই ভুবনেশ্বর কুমারকেই দুজনের মধ্যে বেছে নিয়েছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।কাল ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়া ভুবনেশ্বর কুমার এরই মধ্যে ফিট হয়ে উঠেছেন। আগের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করা শামিই থাকবেন, না কি নিজের জায়গা ফিরে পাবেন ভুবনেশ্বর—সে ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্তই নিতে হবে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে ম্যাচের আগেই এ ব্যাপারে ‘টিপস’ দিয়ে রাখলেন শচীন।ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের বিশ্লেষণে শচীন বলেছেন, ‘ভারতের জন্য এটা দারুণ খবর যে ভুবনেশ্বর কুমার ফিট হয়ে উঠেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ভুবনেশ্বর ও শামির মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হলে আমি অবশ্যই ভুবনেশ্বরকেই বেছে নেব।’কেন শামির জায়গায় ভুবনেশ্বর, সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির মালিক, ‘ওকে (ভুবনেশ্বর) বেছে নেওয়ার একমাত্র কারণ হলো, ক্রিস গেইলের বিপক্ষে দারুণ অ্যাঙ্গেলে আউটসুইঙ্গার করতে পারে। এটি খেলতে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয় গেইলকে। এখনো মনে পড়ে, আমার শেষ টেস্টে ভুবনেশ্বরের বিপক্ষে কী রকম ভুগতে হয়েছিল গেইলকে।’আগের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করার পর শামিকে বাদ দেওয়া সহজ নয়, এটি শচীনও মানছেন। কিন্তু দলের স্বার্থেই ভুবনেশ্বরকে ফেরানোর পক্ষপাতী তিনি, ‘আমি জানি এটা শামির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু আমার মনে হয় এ ম্যাচের জন্য ভুবনেশ্বরকেই নেওয়া উচিত।’ | 407,504 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৩ জুলাই ২০১৪, ১১:৫৩ | ১৩ জুলাই ২০১৪, ১৬:২৬ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,বিশ্বকাপ ফুটবল | null | ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ করবে যা... | http://www.prothom-alo.com/sports/article/266458 | ফাইনালের মহারণ আজ। আর্জেন্টিনা কি পারবে রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে ২৮ বছরের হাহাকার ঘোচাতে? জার্মানিও যে ২৪ বছর ধরে বুভুক্ষু। ১৯৯০ সালের পর প্রত্যাশার শিরোপার অনেক কাছে এসেও ফিরে যাওয়া দলটি আজ যেভাবেই হোক চাইবে ২৪ বছরের আক্ষেপ মুছে ফেলতে। লিওনেল মেসির জন্য আজ রাতটি নিজেকে গ্রেটদের কাতারে নিয়ে যাওয়ার। ফিলিপ লাম, ম্যানুয়েল নয়্যার, বাস্তেইন শোয়েনস্টাইগাররাও চাইবেন নিজেদের লোথার ম্যাথাউস, ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান কিংবা রুডি ফোলারদের মতো ‘বিশ্বজয়ী জার্মান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। ফুটবলপ্রেমীরাও উন্মুখ এক মাস ধরে চলা এই ‘মেগা সিরিয়ালে’র পরিণতি দেখার অপেক্ষায়। প্রিয় পাঠক, আসুন, এই রূদ্ধশ্বাস অপেক্ষার মাঝে একটি বার চোখ বুলিয়ে নিই যুদ্ধজয়ের কয়েকটি অনুষঙ্গে...বন্দী করো মেসিকেহল্যান্ডের বিপক্ষে মেসি ছিলেন একেবারেই বন্দী, একটি ফ্রি-কিক আর টাইব্রেকারে একটি পেনাল্টি দিয়ে ভাগ্যপরীক্ষা ছাড়া পুরো ম্যাচে তাঁকে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মেসিকে ‘বন্দী’ করার ছক ডাচ কোচ লুই ফন গাল সাজিয়েছিলেন তাঁর দুই ডিফেন্ডর ব্রুনো মার্টিন ইন্ডি ও নাইজেল ডি জংকে দিয়ে। মেসিকে খোলসবন্দী করে রাখার মিশনে দারুণভাবেই সফল ইন্ডি ও জং। আজ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালের আগে ফন গালকে জার্মান কোচ জোয়াকিম লো ফোন করেছিলেন নাকি তা জানা নেই, তবে ফন গালের এই কৌশল লোর মনে না ধরার কিন্তু কোনো কারণ নেই। আজকের ফাইনালে তিনি স্যামি খেদিরা কিংবা অধিনায়ক ফিলিপ লামকে দায়িত্ব দিতে পারেন মেসিকে বন্দী করার। ভুলে গেলে চলবে না ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই লেগে বার্সেলোনাকে ৭-০ গোলে পেছনে ফেলা বায়ার্ন মিউনিখের অনেক খেলোয়াড়ই যে আছেন আজকের জার্মান দলে।ক্ষুরধার জার্মান মধ্যমাঠএবারের বিশ্বকাপের শুরুতে জোয়াকিম লো মধ্যমাঠের দায়িত্ব স্যামি খেদিরা-বাস্তেইন শোয়েনস্টাইগার আর টনি ক্রুসকে দেননি। খেদিরার জায়গায় অধিনায়ক ফিলিপ লাম দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। খেদিরা খেলছিলেন একটু নিচে নেমে। কিন্তু ঘানা, যুক্তরাষ্ট্র ও আলজেরিয়ার বিপক্ষে রক্ষণের নড়বড়ে অবস্থা ফুটে উঠলে লো কৌশল পরিবর্তন করে লামকে নিচে নামিয়েছেন। লাম নিচে নামায় এখন আক্রমণের ধারাটা হচ্ছে অনেক বেশি শাণিত। এর প্রমাণ খুব সম্ভবত ব্রাজিল পেয়ে গেছে সেমিফাইনালে ৭-১ গোলে ভূপতিত হয়ে।সাবেলার রণকৌশলএকটি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত আর্জেন্টাইন দল নিয়েই এবার বিশ্বকাপে এসেছেন কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা। যে আর্জেন্টিনার রক্ষণ নিয়ে আগে বহু সমালোচনা ছিল, যে আর্জেন্টিনার রক্ষণকে অনেক সময় ‘তাসের ঘরের’ সঙ্গে তুলনা করা হতো, সেই আর্জেন্টিনার রক্ষণই এবার অনেকটাই আঁটসাঁট। একটা বারের জন্যও এই রক্ষণে চিড় ধরার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি গোটা বিশ্বকাপেই। জার্মান-যন্ত্রদের ঠেকাতে আজ সাবেলা কী কৌশল নেবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে হল্যান্ডের বিপক্ষে সাবেলার রণকৌশল যেভাবে রোবেন-স্নাইডারদের বোতলবন্দী করে ফেলেছিল, সেটা আজ মারাকানায় দেখা গেলে কিন্তু অবাক হওয়ার কিছু নেই। কৌশলগত প্রতিরোধের মুখে একটু দিশেহারা হয়ে যাওয়ার নজির জার্মানি কিন্তু দেখিয়েছে এই বিশ্বকাপেই।অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার ফেরাএই বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির পাশাপাশি অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া কিন্তু নিজেকে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন-সারথি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। অনেক সময় প্রতিপক্ষের মনোযোগের পুরোটা মেসি নিয়ে নিলে বাজিমাতটা করছেন এই ডি মারিয়াই। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ডি মারিয়া আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ায় সেমিফাইনালে বেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু কৌশলগতভাবে রণকৌশলে পরিবর্তন এনে সে যাত্রা রক্ষা পেয়েছে আর্জেন্টিনা। আজ ফাইনালে তাঁর মাঠে নামার কিন্তু যথেষ্ট সম্ভাবনাই আছে। আর তিনি যদি মাঠে নেমেই পড়েন, তাহলে জার্মানরা তাঁর সামনে কিছুটা খেই হারাবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই। আলজেরিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটিতে কিন্তু প্রমাণ হয়ে গেছে দ্রুতগতির আক্রমণের সামনে জার্মান রক্ষণ একটু অসহায়ই। আর এটা তো সত্যি, ডি মারিয়া দ্রুতগতির আক্রমণের জন্য সমাদৃত।জার্মানরা যদি এগিয়ে যায়...খুব দ্রুতই জার্মানরা যদি ম্যাচে গোল করে এগিয়ে যায়, তাহলে আর্জেন্টিনার ফেরা খুব মুশকিল হয়ে পড়তে পারে। পরিসংখ্যানই বলছে, এই বিশ্বকাপে জার্মানরা যদি প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে যায়, তাহলে তাদের পরাস্ত করা খুবই মুশকিল। পর্তুগাল, ফ্রান্স আর ব্রাজিল এ ব্যাপারে আর্জেন্টিনাকে পরামর্শ দিতে পারে।সেমিফাইনাল যেখানে সুবিধা...ব্রাজিলের বিপক্ষে জার্মানির প্রথম সেমিফাইনালটি যে এমন একপেশে হবে, সেটা কি কেউ ভাবতে পেরেছিল? ওই ম্যাচের দুই-তৃতীয়াংশ হাতে রেখেই জার্মানি ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলায় পরের সময়টুকু একেবারেই চাপমুক্ত হয়ে খেলেছে তারা। তাদের খেলার ধরন ছিল অনেকটাই হালকা চালে, অনুশীলনের মুডে। আর্জেন্টিনা হল্যান্ডের বিপক্ষে এ ধরনের বিলাসিতা দেখানোর কোনো সুযোগই পায়নি। বরং তাদের দাঁতে দাঁত চেপে লড়তে হয়েছে ১২০ মিনিট। তারপর নিতে হয়েছে টাইব্রেকারের অসহনীয় স্নায়ুচাপ। এ ব্যাপারটি ফাইনালে প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলেও মত দিয়েছেন অনেক বিশ্লেষক। | 77,221 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:২৯ | ১০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৩০ | ঝিনাইদহ,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের ঘটনায় আমি জড়িত নই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1017627 | ‘ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধাকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে বিন্দুমাত্র জড়িত নই, এরপরও একটি মহল আমাকে হেয় করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে।’ গতকাল বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই। সাংসদ বলেন, ‘যাঁরা মেরেছেন এবং যাঁরা মার খেয়েছেন, তাঁরা সবাই আমার লোক। যাঁরা মুক্তার আহমেদ মৃধাকে মারধর করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হামলার ভিডিও ফুটেজ আছে। হামলায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু একটি মহল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার সাবেক এপিএস জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আবদুল হাকিম আহম্মেদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। তাঁকে আসামি করা হয়েছে শুধু আমার ওপর দোষ চাপানোর জন্য।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম, সহসভাপতি অজিজুর রহমান, আবদুল ওয়াহেদ জোয়ার্দার প্রমুখ।উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় শৈলকুপা উপজেলা শহরের কবিরপুর এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে বসেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধা। একটি দরপত্র নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন। তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন তাঁর ছেলে গোলাম মুরশিদ মৃধা। বর্তমানে মুক্তার মৃধা ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। | 264,163 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১৬ এপ্রিল ২০১৫, ০১:০২ | ১৬ এপ্রিল ২০১৫, ০২:০৬ | আলাপন,আনন্দ | null | গরুর দড়ির সঙ্গে চিঠি বেঁধে দিতাম | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/503878 | আবু হেনা রনি। কৌতুকশিল্পী। ভারতের কলকাতার জি বাংলার ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৬’ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন। দেশে ফেরার পর নিয়মিত কৌতুক নিয়ে অনুষ্ঠান করছেন।স্ট্রেট বলআগে একটা কথা বলে নিইআমি যা বলছি, সব কিন্তু সিরিয়াসলি বলছি! ফান করছি না!আমার বড় পরিচয়এখন তো স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানই বড় পরিচয়।প্রথম প্রেমের গল্পযাকে পছন্দ করতাম, তাদের একটা গরু ছিল। গরুর দড়ির সঙ্গে চিঠি বেঁধে খুঁটি উঠিয়ে দিতাম। গরু হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি পৌঁছে যেত। চিঠিও পৌঁছে যেত।ছোটবেলায় যাকে ভয় পেতামআব্বাকে।গুগলিএক অনুষ্ঠানে গিয়ে যদি এমন হয়, একের পর এক কৌতুক বলছি, কিন্তু শুনে কেউ হাসছে নাসাধারণত যেটা করি, বলি, ‘এতক্ষণ আপনাদের সঙ্গে পরিচিত হলাম। মজার গল্পগুলো পরে বলছি।’বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে যদি আমাকে নামিয়ে দেওয়া হয়বল ব্যাটে লাগুক বা না লাগুক, গায়ে যেন না লাগে। আমি ভয় পাই!এক সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি, বিশাল এক রাজপ্রাসাদে রাজপালঙ্কে শুয়ে আছিসকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজ হচ্ছে বাথরুম খুঁজে বের করা। আগে দেখব, প্রাসাদের বাথরুমটা কোন দিকে!আবু হেনা রনিকে যদি কেউ ১০০ পৃষ্ঠার প্রেমপত্র দেয়এত বড় চিঠি তো পড়তে অনেক সময় লাগবে। সবার আগে খুঁজে দেখব কোথাও ফোন নম্বর কিংবা ছবি দেওয়া আছে কি না। পরেরটা পরে দেখা যাবে।ফুল টসমানুষ হিসেবে আমি দশেআমি নিজে নিজেকে ৭ দেব। অন্যরা হয়তো ৩-৪ দিতে পারে! যেদিন মনে হলো, এমন একটা জীবনই তো চেয়েছিলামআগে বন্ধুদের কৌতুক বললে কেউ মনোযোগ দিয়ে শুনত না। এখন যখন আমার কথা মানুষ মন দিয়ে শোনে, তখন মনে হয় এমনটাই চেয়েছিলাম।দশ বছর পর নিজেকে যে অবস্থানে দেখিএখন যে অবস্থানে আছি, সে অবস্থানটা অন্তত ধরে রাখতে চাই। অনেকে তো হারিয়ে যায়...আমার বড় ভক্ততিনি ভক্ত হিসেবেও বড়, ভক্তদের মধ্যে বয়সেও বড়। ৯৬ বছরের এক মহিলা, তাঁর নাম সুন্দরীবালা। থাকেন বর্ধমানে।পাওয়ার প্লেযে চ্যালেঞ্জ নিতে চাইবাংলাদেশে প্রচুর স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান আর কমেডি ক্লাব তৈরি করতে চাই।ইদানীং ব্যস্ততাকিছু অনুষ্ঠান করছি। এ ছাড়া বাংলাদেশের সবগুলো বিভাগে একটা করে কমেডি ক্লাব করার চেষ্টা করছি। কাজও হচ্ছে, ঘোরাঘুরিও হচ্ছে।জীবনের সেরা পারফরম্যান্সমঞ্চে না মঞ্চের বাইরে? মঞ্চের বাইরের কথা যদি বলি, আমি যেটাকে জীবনের সেরা পারফরম্যান্স মনে করি, ‘ও’ তো সেটা মনে করে না!বন্ধুসংখ্যাএটা বলা কঠিন। বেশির ভাগ সময় দেখা যায় যাকে আমি বন্ধু তালিকায় রেখেছি, আমি তাঁর বন্ধু তালিকায় নেই!ফুলটসআমাকে নিয়ে মেয়েদের অভিযোগ‘রনি, তুমি শুধু হাসায়াই পেট ব্যথা করলা...!’খুব মন খারাপ। এমন সময় কেউ যদি বলে, একটা কৌতুক বলেন।এটা একটা মুশকিল। মন খারাপ থাকলেও কাউকে বলি না। মানুষজনকে মজা দিয়ে আমি নিজেরও মন ভালো করি।আমার ব্যর্থতাযে মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, তাঁর এখন এত বড় একটা বাচ্চা আছে যাকে কোলেও নেওয়া যাবে না! আর আমি এখনো বিয়েই করতে পারলাম না!অভিনয় নিয়ে অসন্তুষ্টিনিজে নিজে যখন একটা কৌতুক তৈরি করি, মঞ্চে বলি, তখন মনে হয় সৃষ্টিশীল কিছু করলাম। অভিনয় করে এখনো তেমন অনুভূতি পাইনি।মো. সাইফুল্লাহ | 131,721 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০১ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০২ | অপরাধ,ঢাকা বিভাগ | 0 | ককটেল বিস্ফোরণে কলেজছাত্রী গুরুতর আহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/459412 | উচ্চমাধ্যমিক পেরিয়ে সবে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন শারমিন সুলতানা (১৯)। গতকাল রোববার দুপুরে মায়ের সঙ্গে রিকশায় কলেজে যাচ্ছিলেন প্রথম দিনের ক্লাসে অংশ নিতে। পথেই তাঁদের রিকশার ওপরে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। তাতে পেটে-পিঠে গুরুতর ক্ষত সৃষ্টি হয় শারমিনের। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সমর্থনে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় গতকাল দুপুরে ঝটিকা মিছিল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সেন্ট গ্রেগরি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে মিছিল থেকে কয়েকটি (৮-১০টির মতো) ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর একটি রিকশায় লেগে বিস্ফোরিত হলে শারমিন আহত হন। এ ঘটনার পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আশরাফ মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। সূত্রাপুর থানার ওসি খলিলুর রহমান মামুনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।শারমিনের মা লিমা আক্তার বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পাসের পরে কয়েক দিন আগে কবি নজরুল কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকে (সম্মান) ভর্তি হন শারমিন। গতকাল ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য দুপুরে সূত্রাপুরের ফরাশগঞ্জের বাগানবাড়ির বাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে রিকশায় কলেজের উদ্দেশে বের হন তিনি। রিকশাটি সেন্ট গ্রেগরি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছাতেই কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে শারমিন গুরুতর আহত হন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শারমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনেন।ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ককটেলের বিস্ফোরণে মেয়েটির পেটে-পিঠে গভীর কিছু ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বেরিয়ে গেছে। দুই দফায় মেয়েটির শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে আট ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। | 117,762 |
বদিউজ্জামান, গোপালগঞ্জ থেকে | sports | খেলা | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৫৯ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০৪ | খেলা,দেশের ফুটবল | 0 | হদিস নেই বঙ্গবন্ধুর সেই ট্রফির | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1034719 | রুপালি ট্রফিটা সামনে ধরে অনেকের সঙ্গে বসে আছে এক কিশোর। গোপালগঞ্জের আন্তস্কুল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের অধিনায়কও তিনি। সারা বিশ্ব যাঁকে রাজনীতিবিদ হিসেবেই চেনে, তিনি ছিলেন ওই সময় স্কুল দলের তুখোড় ফুটবলার। পরে ঢাকার মাঠে ওয়ান্ডারার্সের হয়েও খেলেছিলেন ১৯৪০ সালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই অধ্যায়টা হয়তো অনেকেই তেমন জানেন না। বঙ্গবন্ধুর খেলোয়াড়ি জীবনের অন্যতম অর্জন সেই ট্রফিটার কোনো খোঁজই নাকি নেই শহরে!১৯৩৬ সালে তৎকালীন মিশন স্কুল (বর্তমান সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ) মাঠে সীতানাথ একাডেমির হয়ে ফাইনাল খেলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যে ম্যাচের রেফারি ছিলেন ডা. গোপাল কৃষ্ণ অধিকারী। গোপালগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবশঙ্কর অধিকারীর বাবা রেফারি গোপাল কৃষ্ণ। ওই ম্যাচের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কাল শিবশঙ্কর বলছিলেন, ‘ম্যাচের ফলটা আমার মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে বঙ্গবন্ধুর দল এসএন (সীতানাথ) একাডেমি জিতেছিল। বাবা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক গল্প করতেন। শহরে এলে আমাদের কলেজ রোডের বাড়িতেও আসতেন বঙ্গবন্ধু।’এসএন একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র বঙ্গবন্ধু খেলতেন আক্রমণভাগে। ওই ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন দলের একটি ছবিও তোলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ: আলোকচিত্রের অ্যালবাম বইটিতে ছাপা হওয়া সেই ছবি দেখিয়ে বলছিলেন, ‘সামনের সারিতে বসা তৃতীয় জনই বঙ্গবন্ধু। পঞ্চম জন বঙ্গবন্ধুর অঙ্কের শিক্ষক মনোরঞ্জন অধিকারী। বঙ্গবন্ধুর পাশে গোলরক্ষক বতু মিয়া। পেছনে তৎকালীন এসডিও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এসএন দাস।’ফুটবলার বঙ্গবন্ধুকে তো পাওয়া গেল। কিন্তু তাঁর অধিনায়কত্বে জেতা সেই ট্রফিটা কোথায়? প্রশ্নটা করতেই মুখ শুকিয়ে পাংশুবর্ণ হয়ে যায় শিবশঙ্করের। দুঃখের সঙ্গে জানালেন, ‘এই ট্রফির কোনো হদিসই নেই। হয়তো বঙ্গবন্ধু কলেজে থাকতেও পারে।’ তাঁর কথার সূত্র ধরেই এই প্রতিবেদক গেলেন বঙ্গবন্ধু কলেজে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান উপাধ্যক্ষ জিতেন্দ্রনাথ বালা জানালেন, ‘১৯৭৭ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে এই ট্রফিসহ সবকিছু এলোমেলো হয়ে হারিয়ে যেতে পারে। আমরাও ওই ট্রফির কথা শুনেছি। এখনো ওটা খুঁজে চলেছি। শেষ পর্যন্ত না পেলে ওই আদলে আরেকটি রেপ্লিকা তৈরি করতে পারি আমরা।’স্কুলজীবনের তুখোড় ফুটবলার এলাকাতেও নিয়মিত খেলতেন। শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক ভিটা টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে খোঁজ পাওয়া গেল তাঁর শৈশবের খেলার সাথিদের একজনকে। অশীতিপর মাজেদ শেখ গুছিয়েও কথা বলতে পারেন না। তবে বঙ্গবন্ধুর কথা তুলতেই আনন্দে চোখ চিকচিক করতে লাগল তাঁর। একে একে খুলে দিলেন মনের আগল, ‘আমরা ছিলাম সম্পর্কে পাড়াতো ভাই। একই সঙ্গে ফুটবল খেলেছি। উনি আমার চেয়ে বয়সে বেশ বড় ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কারও কোনো দিন ঝগড়া হয়নি খেলার মাঠে। আমাদের এলাকার খালের পাশে একটা হিজলগাছ ছিল। বর্ষাকালে একসঙ্গে ওই গাছে উঠে পানিতে ঝাঁপ দিতাম আমরা।’মাজেদ শেখের স্মৃতি থেকে হয়তো একদিন এসব হারিয়ে যাবে। কিন্তু খেলোয়াড়ি জীবনের স্মরণীয় ওই ট্রফিটা থাকলে পরের প্রজন্ম নিশ্চয়ই অন্য বঙ্গবন্ধুকে চেনার সুযোগ পেত। | 271,767 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জুলাই ২০১৭, ০০:১০ | ১০ জুলাই ২০১৭, ০০:১১ | ভৈরব | 0 | ভৈরব দলিল লেখকদের কলমবিরতি প্রত্যাহার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1244531 | কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দলিল লেখক সমিতির অনির্দিষ্টকালের কলমবিরতি চার দিন পর প্রত্যাহার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যান।অতিরিক্ত ঘুষ ছাড়া দলিল নিবন্ধন করেন না—এমন অভিযোগ এনে সাবরেজিস্ট্রার আসমা আক্তার ও অফিস সহকারী রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহার চেয়ে ২ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলমবিরতি শুরু করে দলিল লেখক সমিতি।জানা গেছে, অচলাবস্থা নিরসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়া গত বৃহস্পতিবার সকালে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পক্ষ দুটিকে নিয়ে সমঝোতা সভা করেন। সভা থেকে দলিল লেখকেরা কাজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।ভৈরব দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল কবির বলেন, ‘আমাদের প্রধান চাওয়া ছিল সাবরেজিস্ট্রার ও অফিস সহকারী প্রত্যাহার। প্রধান দাবি পূরণ হয়নি। তারপরও শুধু জনগণের দুর্ভোগের কথা ভেবে অবস্থান থেকে সরে এসেছি।’ | 325,491 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৮ | ২৯ মার্চ ২০১৮, ১৩:২৬ | ফুটবল,বার্সেলোনা,লা লিগা,ফিলিপে কুতিনহো | null | বার্সায় কুতিনহো? ফাঁস নাইকির বিজ্ঞাপন! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1398666 | তবে কি বার্সেলোনায় যাচ্ছেন কুতিনহো? এই প্রশ্নটা আরও একবার করতে হলো অমীমাংসিত মেগা সিরিয়ালের মতোই যে চলছে বার্সা-কুতিনহো নাটক! ব্রাজিলীয় প্লে-মেকারকে অনেক দিন ধরেই দলে ভেড়াতে চাইছে বার্সা। কিন্তু লিভারপুল নাছোড়। তবে শেষমেশ হয়তো জিতে গেল কাতালান ক্লাবটিই। মেসি-সুয়ারেজদের জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির বিজ্ঞাপনে কুতিনহোর নাম এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে স্পেনকেই কুতিনহোর পরবর্তী ঠিকানা বলে মনে হচ্ছে।ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বার্সেলোনার। জার্সি বিক্রির জন্য প্রকাশিত এক বিজ্ঞাপন থেকেই ঘুম হারাম হয়েছে লিভারপুল সমর্থকদের। সেই বিজ্ঞাপনের ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে চলতি মৌসুমেই ব্লুগ্রানা জার্সি গায়ে তুলতে যাচ্ছেন কুতিনহো। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ন্যু ক্যাম্পে ঝড় তুলতে প্রস্তুত ফিলিপে কুতিনহো। এই জাদুকরের নামাঙ্কিত ২০১৭-১৮-এর জার্সি সংগ্রহ করে নিন। জলদি করুন, বিনা মূল্যে নিজের মতো জার্সি বানানোর সুযোগ শুধু ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত!’ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনটি তুলেই আবার নামিয়ে ফেলা হয়েছে। ততক্ষণে অবশ্য স্ক্রিনশট নেওয়া সারা। সেটাই ছড়িয়ে পড়েছে।দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্যের আগে তো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আগস্টেই লিভারপুল তারকার জন্য ১১৫ মিলিয়ন ইউরো প্রস্তাব করেও তাঁকে দলে টানতে পারেনি কাতালান ক্লাবটি। ‘অল রেড’দের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বারবার জানিয়েছেন ‘কুতিনহো বিক্রির জন্য নয়’। কিন্তু নাইকির মতো বিজ্ঞাপনী সংস্থা নিশ্চয়ই বার্সেলোনার নির্দেশনা ছাড়াই জার্সি প্রস্তুত করেনি। কিংবা তৈরি করেনি বিজ্ঞাপনটি। | 349,730 |
এনডিটিভি | international | আন্তর্জাতিক | ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩০ | ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ০২:১৮ | ভারত | 0 | ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর তুলনা মোদির | http://www.prothom-alo.com/international/article/1002865 | গত মাসে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকসের’ (নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা) প্রশংসা করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান চালাত। এখন সবাই জানতে পেরেছে ভারতের সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযানে সক্ষম। তারা কোনো অংশে কম নয়।হিমাচল প্রদেশের মান্ডি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার এক জনসমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তিনি হিমাচলের ভূমিকে বীরের ভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এখানে প্রায় প্রতিটি পরিবার থেকেই সৈনিকের জন্ম হয়।নরেন্দ্র মোদি বলেন, শত্রুদেশ ও জঙ্গিগোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েল পরিচিত। এখন ভারতও এ কাজে বেশ পারঙ্গম হয়ে উঠেছে।গত ২৯ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পার হয়ে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কথিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দাবি করে ভারত। তবে পাকিস্তান বলেছে, ভারতের গোলাগুলিতে তাদের দুজন সেনাসদস্য নিহত হলেও ভারতীয় সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করেনি।ভারতের ওই সামরিক অভিযান উরি সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার জবাব বলে মনে করা হয়। সেই হামলায় ভারতীয় ১৯ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছিলেন।বিজেপি সরকার অবশ্য এ ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ওই ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশের দাবি করেছেন। বিরোধী দল বলছে, পাকিস্তানের দাবি খণ্ডানোর জন্য সরকারের উচিত ওই অভিযানের তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা। তবে ভারতের সেনা কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে, ওই অভিযান সম্পর্কে যা বলা সম্ভব তা জানানো হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু প্রকাশ করা যাবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাতিস দো এ কথা বলেছেন।এড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রএদিকে ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর’ বলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য এড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র।গত সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জশ আর্নেস্ট সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘ওই মন্তব্যের ব্যাপারে আমাকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। সাধারণভাবে আমি এটুকুই বলতে পারি যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বিদ্যমান গভীর মতবিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের বিষয়টি আমরা উৎসাহিত করব।’ভারতের গোয়ায় মোদির ওই মন্তব্যের পর পাকিস্তানের পুরোনো মিত্র চীন ইতিমধ্যেই তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইংকে মোদির মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশ, জাতি বা ধর্মের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে জড়িত করারও বিরোধিতা করি।’ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরিতে সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে একঘরে করতে কূটনৈতিক চেষ্টা চালাচ্ছেন। ব্রিকস সম্মেলনে করা তাঁর ওই মন্তব্য সেই প্রচেষ্টারই ধারাবাহিকতা বলে মনে করা হচ্ছে। | 257,323 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২৭ মার্চ ২০১৪, ০০:০৮ | ২৭ মার্চ ২০১৪, ০০:১০ | বাণিজ্য,মানবসম্পদ | 0 | বিসিকের ষান্মাসিক পর্যালোচনা সভা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/177862 | বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজ করে চলেছে; যাতে শিল্পোদ্যোক্তা তৈরি ও আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে শিল্পসমৃদ্ধ করে তোলার পাশাপাশি মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায়।বিসিকের দিনব্যাপী ষান্মাসিক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সম্প্রতি এসব কথা বলা হয়েছে। সভায় সংস্থার চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার সভাপতিত্ব করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিচালক আবু তাহের খান। অনুষ্ঠানে বিসিকের পরিচালকেরা, সচিবসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক পরিচালক ও ৬৪টি শিল্প-সহায়ক কেন্দ্রের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।শ্যাম সুন্দর সিকদার বিসিক শিল্পনগরসমূহের প্লট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে সচেষ্ট হওয়া এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।এ ছাড়া সভায় বিসিকের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি। | 61,447 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২২ জুলাই ২০১৬, ১৮:২৬ | ২২ জুলাই ২০১৬, ১৮:৪৫ | বাংলা গান | 0 | ইউটিউবে বেশ দেখছেন সুমনকে | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/922183 | ইউটিউবে ‘ভিতর কান্দে’, ‘জাদুরে’, ‘মন মুনিয়া’, ‘দরদিয়া’, ‘ঘুম পাড়ানি বন্ধু’, ‘জানরে তুই’, ‘জানেরে খোদা জানে’, ‘রঙ্গিলা রে’, ‘বন্ধুরে তোর বুকের ভিতর’, ‘বঁধুয়া’ গানগুলো বেশ দেখছেন বাংলা গানের শ্রোতারা। গানগুলো গেয়েছেন এফ এ সুমন। গত ঈদে প্রকাশিত হয় তাঁর বেশ কয়েকটি অ্যালবাম। সেগুলোর মধ্যে থেকে ‘রঙিন স্বপ্ন’, ‘ভাব কইরা তোর সনে’, ‘ও সখি’, ‘পিঞ্জর’ গানগুলোও দারুণ শ্রোতাপ্রিয় হয়ে ওঠে। সুমন জানান তাঁর গানগুলো যে এতবার শ্রোতারা দেখছেন, ইউটিউব না দেখলে নিজেও জানতে পারতেন না। তিনি বললেন, ‘ইউটিউবে আমার অফিসিয়াল ভিডিওগুলোর পাশাপাশি অনেক আন-অফিসিয়াল ভিডিও রয়েছে। কারা বানিয়েছে জানি না, কিন্তু শ্রোতারা আমার গান শোনে বলেই সেগুলো করা হয়েছে।’ অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের এ প্লাটফর্মে দেখা গেছে, সুমনের গানগুলো দেখা হয়েছে কোনোটি ত্রিশ, চল্লিশ বা পঞ্চাশ লাখের বেশি।সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সিনেমায় সংগীত পরিচালনা, লাইভ কনসার্ট ও নতুন অ্যালবামের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন সুমন। | 242,236 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:০৮ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:২৬ | -1 | null | রোনালদোর বেতন তিন গুণ বেশি! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1556268 | জুভেন্টাসের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পারিশ্রমিকের অঙ্ক জানিয়েছে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম। সিরি ‘আ’-তে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন এই পর্তুগিজ তারকা।সিরি ‘আ’-তে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় যে হবেন, তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। পারিশ্রমিকের অঙ্কটা ঠিক কত, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। অবশেষে জবাবটা মিলেছে। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত জানিয়েছে, জুভেন্টাসে মৌসুমপ্রতি ৩১ মিলিয়ন ইউরো পারিশ্রমিক হিসেবে পাবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।গত জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চার বছরের চুক্তিতে ইতালিয়ান ক্লাবটিতে যোগ দেন রোনালদো। তাঁর পারিশ্রমিকের অঙ্কটা নিয়ে এত দিন প্রচুর জল্পনাকল্পনা হলেও সঠিক অঙ্কটা জানা যায়নি। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সিরি ‘আ’-তে রোনালদোর পারিশ্রমিকই সর্বোচ্চ। ইতালির শীর্ষস্থানীয় এই লিগে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে তাঁর পারিশ্রমিক তিন গুণ বেশি!৩৩ বছর বয়সী রোনালদোর মৌসুমপ্রতি পারিশ্রমিক (৩১ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ১০ লাখ ইউরো) বাংলাদেশি মুদ্রায় অবাক করে দেওয়ার মতো। প্রায় ৩০০ কোটি ৯০ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৪ টাকা। বেতনে শুধু লিওনেল মেসি আর নেইমারই রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে। তবে জুভেন্টাসে রোনালদোর শুরুটা ভালো হয়নি। লিগ চ্যাম্পিয়নরা তিন ম্যাচে জয় পেলেও রোনালদো এখনো গোলের দেখা পাননি।বার্সেলোনায় মেসির মৌসুমপ্রতি বেতন প্রায় ৪ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৩৯৮ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ৪৩৬ কোটি ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। পিএসজিতে নেইমারের মৌসুমপ্রতি বেতন ৩ কোটি ৫১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩০ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা)।সিরি ‘আ’-তে বেতনে রোনালদোর পরই গঞ্জালো হিগুয়েন। কিন্তু দুজনের মধ্যে ব্যবধান আকাশ-পাতাল। জুভেন্টাস থেকে এসি মিলানে ধারে যাওয়া আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকারের মৌসুমপ্রতি বেতন ৯.৫ মিলিয়ন ইউরো। তৃতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক জুভেন্টাস তারকা পাওলো দিবালার। মৌসুমপ্রতি ৭ মিলিয়ন ইউরো বেতন পেয়ে থাকেন আর্জেন্টাইন এই তারকা।খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ায় শীর্ষস্থানীয় ক্লাবের নামে কোনো চমক নেই। জুভেন্টাস ছাড়া কে! প্রতি মৌসুমে শুধু বেতন বাবদ ২১ কোটি ৯০ লাখ ইউরো খরচ করে থাকে ‘তুরিনের ওল্ড লেডি’রা। ১৪ কোটি ইউরো খরচ করে দ্বিতীয় এসি মিলান। | 375,792 |
বরিশাল অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪৫ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪৭ | বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন | 0 | ২৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/706933 | বরিশালের ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনে ৩০২ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮৬ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। গত শনিবার ও রোববার যাচাই-বাছাই শেষে ওই তালিকা ঘোষণা করা হয়।জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভায় দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র পদে ২৭, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯৯ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়র পদে একজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে নয়জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়র পদে ২৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মেয়র পদে উজিরপুর পৌরসভায় পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামানের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল হালিম খান প্রথম আলোকে বলেন, ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল না করায় পিপলস পার্টির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলদের মধ্যে অনেকেরই সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্রে ত্রুটি রয়েছে। | 181,797 |
সুমাইয়া আহমেদ | education | শিক্ষা | ২৪ জুন ২০১৮, ১২:৩৪ | ২৪ জুন ২০১৮, ১২:৩৮ | স্বপ্ন নিয়ে,শিক্ষাঙ্গন | 0 | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: খেলার চেয়েও বেশি কিছু | http://www.prothom-alo.com/education/article/1516756 | হোক ফুটবল বা ক্রিকেট; ক্যাম্পাসে বসে খেলা দেখার আনন্দই আলাদা। কখনো কখনো নিজেদের মাঠের খেলায়ও মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। হলের টিভি রুম হয়ে যায় গ্যালারি। ক্যানটিনে চায়ে চুমুক দিতে দিতে বাধে তুমুল তর্ক। মাঠের বাইরের এই রোমাঞ্চও কম কিসে! বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা লিখেছেন ক্যাম্পাসে খেলা দেখার আনন্দের অভিজ্ঞতা। এই নিয়ে আজ বিশেষ আয়োজনআমরা বাঙালিরা খুব আবেগপ্রবণ জাতি। সেই আবেগের সঙ্গে যখন জড়িয়ে থাকে খেলা, তখন তো আর কথাই নেই!জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ধূপখোলা মাঠ হলো সব খেলার কেন্দ্র। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট, ফুটবলসহ যাবতীয় খেলার প্রতিযোগিতা হয়। যদিও ধূপখোলা মাঠ পুরোটাই ধুলোয় পরিপূর্ণ। ঘাসে ঢাকা হলে আরও ভালো হতো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল না থাকায় একত্রে রাতে হলে বসে টিভিতে ম্যাচগুলো দেখার সুযোগ হয় না সত্যি, কিন্তু প্রতিবছর আন্তবিভাগ ক্রিকেট খেলা এবং ডিপার্টমেন্টের ব্যাচগুলোর মধ্যে খেলাগুলো আমরা বেশ উপভোগ করি। এই তো কয়েক মাস আগে, মার্চে অনুষ্ঠিত হয়েছিল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যাচভিত্তিক এমপিএল (মার্কেটিং প্রিমিয়ার লিগ)। সেখানে ডিপার্টমেন্টের ৬টি ব্যাচের মধ্যে খেলা হলো। এই খেলায় প্রতিবছর সিনিয়র-জুনিয়র ব্যাচের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়!বাসে করে ধূপখোলা মাঠে যাওয়া থেকে শুরু করে একসঙ্গে চেঁচামেচি, হইহুল্লোড় করতে করতে ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে সবার অজান্তেই এক মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়। ‘সাকিব অব মার্কেটিং’ নামে খ্যাত ১১ ব্যাচের তালহা। এই ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য, ‘আসলে আমাদের প্রত্যেকটা ব্যাচের কম্বিনেশন, লয়ালটি স্ট্রং থাকার কারণে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। আর আমরা যারা খেলি, তারা তো নতুন বছর এলেই অপেক্ষায় থাকি কখন এমপিএল শুরু হবে।’বরাবরের মতো এবারও মাঠে ধারাভাষ্যের আয়োজন ছিল। মাঠে যখন প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থী উপস্থিত, তখন সবার মধ্যে এক চাপা উত্তেজনা কাজ করছিল। বিভাগের শিক্ষকেরা প্রতিটা টিমের ম্যানেজার থাকার পাশাপাশি খেলোয়াড়ের ভূমিকাও পালন করেন। খেলা শুরু হওয়ার পর সেই চাপা উত্তেজনা যেন বেরিয়ে আসতে লাগল সবার ভেতর থেকে! কোন ব্যাচ জেতে, কোন ব্যাচ হারে, সে নিয়ে কত যে কথা-কাটাকাটি! তবে এই কথা-কাটাকাটি কোনো সংঘর্ষে গড়ায় না, নিজেদের ব্যাচকে সেরা প্রমাণ করার চেষ্টা থাকে সবার মধ্যে। ছক্কা কিংবা আউট যেটাই হোক না কেন, উল্লাসে মাঠ তখন পুরো জমজমাট। কেননা কোনো ব্যাচই একটা আরেকটার চেয়ে কম যায় না।গতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া সবচেয়ে সিনিয়র ৭ম ব্যাচ এবারও চ্যাম্পিয়ন হলো। আর রানার্সআপ হয় ৯ম ব্যাচ। তাই বলে কি আনন্দ কেবল তাদের? মোটেই না। আনন্দ উদ্যাপনে প্রতিটি ব্যাচের অংশগ্রহণ ছিল। উল্লাস করেছি আমরা সবাই একসঙ্গে। কাপ যেই ব্যাচই জিতুক না কেন, দিনশেষে আমরা সবাই তো একই পরিবারের সদস্য। সবাই মিলে আমরা মার্কেটিং পরিবার।● মার্কেটিং বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় | 368,222 |
পিরোজপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৬ | ২৮ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৬ | বিশাল বাংলা | 0 | রিমান্ড মঞ্জুর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/842854 | পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা যুবলীগের কর্মী জসিম উদ্দিন হাওলাদার হত্যা মামলায় কারাগারে বন্দী তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এঁরা হলেন রতন বৈদ্য, স্বদেশ বড়াল ও লিটন শীল। গতকাল বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেছারাবাদ থানার এসআই শাহাবউদ্দিনের আবেদনের শুনানি শেষে পিরোজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৬ এপ্রিল উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি এলাকায় জসিম উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জসিমের ভাই আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে জলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আশিস বড়ালকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। | 224,484 |
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০৪ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০৫ | মানিকগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি জব্দ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/310777 | মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সেই গাড়িটি জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় গাড়ির চালক ইউসুফ আলীকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়।গত বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার ও চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া গাড়িচালক ইউসুফের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার বালুরচর গ্রামে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে ইসলামী ব্যাংক মানিকগঞ্জ শাখা থেকে পাঁচ লাখ টাকা তুলে টেম্পোতে করে বাড়ি ফিরছিলেন সদর উপজেলার গুলটিয়া গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাটবাউর এলাকায় একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৫২৯০) ওই টেম্পোটির গতিরোধ করে। এ সময় গাড়ির ভেতর থেকে নেমে চার যুবক নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে মোবারককে গাড়িতে তুলে নেয়। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা পার হওয়ার সময় তারা েমাবারকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে গতকাল প্রথম আলোতে ‘ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। | 90,650 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৪১ | ১০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৪৮ | খবরাখবর | null | চিপের ত্রুটি শিগগিরই সারানো হবে: ইনটেল | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1405871 | প্রযুক্তি বিশ্বে কয়েক দিন ধরেই মেল্টডাউন ও স্পেক্টার নামের হার্ডওয়্যার ত্রুটি নিয়ে আলোচনা চলছে। ইনটেলের চিপসেটে ত্রুটি রয়েছে বলে সমালোচনার তির মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির দিকে। তবে ইনটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রায়ান ক্রেজনিক বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মাইক্রো চিপের ত্রুটি দূর করতে সফটওয়্যার প্যাচ উন্মুক্ত করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সিইএস প্রযুক্তি মেলায় প্রধান বক্তা হিসেবে এ কথা জানান তিনি।ক্রেজনিক বলেন, গত পাঁচ বছরে বাজারে আসা প্রসেসর ও পণ্যের ৯০ শতাংশের জন্য প্যাচ ছাড়া হবে।গত সপ্তাহে ইনটেলের চিপে হার্ডওয়্যার ত্রুটির কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।মেল্টডাউন ও স্পেক্টার মূলত আধুনিক কম্পিউটারের সিপিইউতে সমস্যা। এ ত্রুটি কাজে লাগিয়ে যন্ত্র থেকে স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা।বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিইএসে বক্তব্য উপস্থাপনের পর ইনটেল, এআরএম ও এএমডি চিপের ত্রুটির কথা বলতে কিছুক্ষণ সময় নেন ইনটেলের প্রধান নির্বাহী। তবে পুরো চিপ খাতের এ সমস্যার জন্য তিনি ক্ষমা চাননি।বক্তব্যের শুরুতে তিনি পুরো প্রযুক্তি খাতের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ইনটেল ও প্রযুক্তি খাতের সবার প্রধান কাজ গ্রাহকের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।এখন পর্যন্ত চিপের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। গ্রাহকের নিরাপত্তা সফটওয়্যার হালনাগাদ করে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সিএসএস ইনসাইটের বিশ্লেষক জিওফ ব্ল্যাবার বলেন, এটা স্পষ্ট যে এটা শুধু ইনটেলের সমস্যা নয়। ইনটেল ও অন্যরা যুক্তিসংগত দক্ষতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে, এটাই বেশি।ক্রেজনিক তাঁর বক্তব্যে ইনটেলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন পণ্যগুলোর সম্পর্কে কথা বলেন। কিউবিট নামের কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ভলুমেট্রিক নামের ভিডিও ধারণ করার প্রযুক্তি, উড়ুক্কু ট্যাক্সি ভলোকপ্টার প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।ক্রেজনিক আশ্বস্ত করলেও প্রযুক্তি বিশ্বে চিপের ত্রুটি নিয়ে আশঙ্কা রয়ে গেছে। মেল্টডাউন ও স্পেক্টার ত্রুটির কথা ফাঁস করা যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য রেজিস্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্লেষণে দেখা গেছে ইনটেল ও মাইক্রোসফটের ওপর আস্থা রাখা যাচ্ছে না। কারণ, যে প্যাচ ছাড়া হচ্ছে, তাতে কম্পিউটারের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ছে। গতি কমে যাচ্ছে। প্যাচ হালনাগাদ করলে পিসির গতি কমবে না বলে গত সপ্তাহে আশ্বস্ত করেছিল ইনটেল ও মাইক্রোসফট। তবে রেজিস্টারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইক্রোসফট ও ইনটেল চিপের ত্রুটির সমাধানে আনা প্যাচ হালনাগাদে কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে।তবে ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে ইনটেল যতই চেষ্টা করুক, তা বেশ দেরি হয়ে গেছে। ইনটেলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আটটি মামলা হয়েছে। এক টুইটে রেজিস্টার দাবি করেছে, পারফরম্যান্সের বিষয়ে ইনটেল সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল।সমালোচনার তির ধেয়ে যাচ্ছে ইনটেলের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান ক্রেজনিকের দিকেও। তিনি নাকি আগেই চিপের ত্রুটির বিষয়টি টের পেয়েছিলেন। তাই তো গত নভেম্বরে নিজের বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেন। চিপের ত্রুটির কথা জানাজানি হওয়ার পর শেয়ার বিক্রি করলে ভরাডুবি হতো তাঁর।অবশ্য ইনটেলের পক্ষ থেকে এসব গুঞ্জন অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শেয়ার বিক্রির সঙ্গে চিপের ত্রুটির সম্পর্ক নেই। | 350,910 |
সিলেট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৯ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫১ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,মহানগর | 0 | ব্রতচারী নৃত্য | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1052169 | সিলেটের এমসি কলেজের নাট্যসংগঠন ‘থিয়েটার মুরারিচাঁদ’-এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বিজয়ের ৪৫ বছর উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নগরনাট’ পরিবেশন করেছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ব্রতচারী নৃত্য। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া ২৫ মিনিটব্যাপী এ পরিবেশনায় রনি দাশ, সপ্ত দাশ, হাসান আল শাহরিয়ার হৃদয়, বিপ্রজিৎ তালুকদার, আরিফ রহমান, জয় দেব, প্রান্তর চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেন। | 280,169 |
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪২ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৩ | মানিকগঞ্জ,বিশাল বাংলা | 0 | মানিকগঞ্জে শিক্ষকদের মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1055785 | শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকেরা। গতকাল রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।স্মারকলিপিতে বলা হয়, শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার দাবি বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে জেলার সাতটি উপজেলার এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। এতে শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সভাপতি কাশীনাথ সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সহসভাপতি আবদুল মজিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সমিতির শিবালয় উপজেলার সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন প্রমুখ।মজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য এখনো রয়ে গেছে। এ বৈষম্য দূর করে শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূর করে শিক্ষকদের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। | 281,609 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৮:২৭ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৪ | ফুটবল,বাংলাদেশ ফুটবল | null | গোলে বাংলাদেশিরা পেছনে ফেলেছেন ব্রাজিলিয়ান–আর্জেন্টাইনদের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1584109 | জাতীয় ও যুব দলের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার জন্য এক মাসের বিরতি চলছে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে। ৬ এপ্রিল শুরু হবে পরের রাউন্ডের খেলা। এবারের লিগে দেশি স্ট্রাইকাররা গোল করে পাল্লা দিচ্ছেন বিদেশিদের সঙ্গে।নবম রাউন্ড শেষে দশম রাউন্ডে পা রেখেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। যথারীতি সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে বসে আছেন বিদেশিরা। তবে এবারের লিগে গোল করার দক্ষতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশি স্ট্রাইকাররাও। শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন স্থানীয় দুজন উইঙ্গার জাহিদ হোসেন ও স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন। বাংলাদেশের এ দুজনের অনেক পেছনে পড়েছেন তিন ব্রাজিলিয়ান ও এক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।৮ গোল করে শীর্ষে আবাহনী লিমিটেডের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা। এক গোল কম করে দুই নম্বরে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদের আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার বালো ফামুসা। এর পরেই ৬ গোল করে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন তিনজন; দেশি দুই ফরোয়ার্ড জাহিদ (আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ) ও নাবিব নেওয়াজের (আবাহনী লিমিটেড) সঙ্গে রহমতগঞ্জের কঙ্গোর স্ট্রাইকার সিও জুনাপিও। আর কোস্টারিকার জার্সিতে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা বসুন্ধরা কিংসের দানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোল তিনটি।সানডেকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ১৯ গোল করে শীর্ষ গোলদাতা হওয়া এ স্ট্রাইকারের গত কয়েক বছর ধরেই ‘গোল মেশিন’ নামে পরিচিত। এবারও আবাহনীকে নিয়ে ছুটছেন এই নাইজেরিয়ান। এরই মধ্যে দশ ম্যাচ খেলে করেছেন ৮ গোল। তবে ঢাকার মাঠে প্রথম খেলতে এসে তাঁকে ছাপিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন আইভরি কোস্টের ফামুসা। সানডের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে গোল করেছেন সাতটি। লিগ শুরু করেছিলেন শেখ জামালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক দিয়ে।ক্যারিয়ারের গৌধুলি লগ্নে এসে নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন জাহিদ। বয়স ৩২ ছুঁই ছুঁই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বয়সী ফুটবলারদের গায়ে ‘বুড়ো’ তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জাহিদ যেন এবারের মৌসুমে নিজেকে অন্যভাবে চেনাচ্ছেন। আট ম্যাচ খেলে ৬ গোল করে যৌথভাবে গোলদাতার তৃতীয় স্থানে আছেন জাতীয় দলের সাবেক এই উইঙ্গার। মোহামেডানের বিপক্ষে করেছেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকও। কম যাচ্ছেন না আবাহনীর আরেক দেশি ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াহ। এক হ্যাটট্রিকে তাঁর পা থেকেও এসেছে ছয় গোল। ময়মনসিংহে আরামবাগের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে দুর্দান্ত জোড়া গোল করে আবাহনীকে উদ্ধার করেছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। লিগে ১৫ গোলের লক্ষ্য নিয়েছে ছুটছেন জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার।মজার বিষয় হলো বাংলাদেশি এই দুই ফরোয়ার্ডের চেয়ে গোলে পেছনে পড়ে গেছেন তিন ব্রাজিলিয়ান ও এক আর্জেন্টাইন। শেখ জামালের জার্সিতে ৩ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লুসিয়ানো এমানুয়েলের। ৩ গোল আছে অন্য দুই ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়ুস (বসুন্ধরা কিংস) ও লিওনার্দো ভিয়েরা লিমার (ব্রাদার্স ইউনিয়ন)। আর শেখ রাসেলের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার অ্যালেক্স রাফায়েলের গোল মাত্র একটি। এই চার লাতিন ফুটবলারের চেয়ে বাংলাদেশের মতিন মিয়ার গোলও বেশি। বসুন্ধরা কিংসের তরুণ ফরোয়ার্ড গোল করেছেন চারটি। | 394,251 |
বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, বান্দরবান | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৮ | ৩১ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৮ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | বিএনএফের কার্যালয় ও কার্যক্রম আছে শুধু কাগজে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/61165 | নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমাণ নবগঠিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) দাবি করেছে বান্দরবান জেলা শহর ও অন্য দুটি উপজেলায় তাদের কার্যালয় রয়েছে। বাস্তবে এসব কার্যালয়ের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। জেলা শহরে ভাড়ায় নেওয়া একটি ফ্ল্যাটকে কার্যালয় হিসেবে দেখানো হলেও ভাড়ার দলিলটি ভুয়া বলে জানা গেছে। ওই ফ্ল্যাটে পরিচিতি ফলকবিহীন একটি কক্ষে ধানের শীষ ও জিয়াউর রহমানের ছবি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে লামা ও আলীকদম উপজেলায়ও পাওয়া গেছে ভুয়া ভাড়ানামা চুক্তিপত্র ও পরিচিতিফলক।জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনএফ নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া তথ্যে দাবি করেন, বান্দরবানে তাঁদের জেলা শাখা এবং লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় শাখা কার্যালয় আছে। তাঁদের এ দাবির ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হয়।তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইক্ষ্যংছড়িতে বিএনএফের কমিটি বা কার্যালয় কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দাখিল করা দলের জেলা কার্যালয়ের ভাড়ার চুক্তিপত্রে মূল ভাড়াটিয়া আনন্দ দাশ ও ভবন মালিকের কোনো সই নেই। চুক্তিতে প্রথম পক্ষে আব্দুর রহমান এবং দ্বিতীয় পক্ষে বিএনএফের সভাপতি আব্দুর রহমান মানিক নামে পৃথক দুটি সই রয়েছে। সই দুটি দেখতে আলাদা হলেও এগুলো একই ব্যক্তির বলে নির্বাচন কার্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।নথিপত্র ঘেঁটে এবং স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কাছে লাকি প্লাজা নামে একটি আবাসিক ভবনের চারতলার ফ্লাটে বিএনএফ কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। ওই ফ্লাটের মূল ভাড়াটিয়া আনন্দ দাশ জানান, তিনি আব্দুর রহমান মানিক নামে এক ব্যক্তির কাছে ফ্লাটটি এক বছরের জন্য উপ-ভাড়া (সাবলেট) দিয়েছেন। তবে সেখানে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় করার কথা ছিল না।এ বিষয়ে বিএনএফের সভাপতি আব্দুর রহমান ওরফে মানিক দাবি করেন, ভাড়ার দলিলটি তিনি নিজের জন্য করেছিলেন। বিএনএফের সভাপতি হওয়ার পর তিনি সেখানে দলের কার্যালয় করেছেন। পরিচিতি ফলকও লাগিয়েছিলেন। কিন্তু কে বা কারা তা খুলে ফেলে দিয়েছে। নির্বাচন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলীকদম ও লামা উপজেলায় বিএনএফের কার্যালয় রয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দুই উপজেলায় দলটির কোনো কার্যালয় বর্তমানে নেই। বিষয়টি স্বীকার করে লামা বিএনএফের সভাপতি ফরিদুল আলম জানান, ঢাকা থেকে টাকা ও আসবাবপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা না দেওয়ায় লামায় কমিটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কার্যালয়ও নেই। আলীকদমেও কোনো কার্যালয় নেই বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘দুবার তদন্ত করে যা পাওয়া গেছে প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি। | 24,331 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:৫৬ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:৫৮ | যুক্তরাষ্ট্র | null | মার্কিন কারাগারে সেই কাস্ত্রোর ঝুলন্ত লাশ | http://www.prothom-alo.com/international/article/44680 | যুক্তরাষ্ট্রে তিন তরুণীকে অপহরণ করে এক দশক ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি অ্যারিয়েল কাস্ত্রোর (৫৩) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে একটি কারাপ্রকোষ্ঠ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়।ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডের সড়ক থেকে ২০০২-২০০৪ সালের মধ্যে ওই তিন তরুণীকে অপহরণ করেন স্কুলবাসের চালক কাস্ত্রো। তাঁকে গত ১ আগস্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি দাবি করেন, তিনি যৌনতায় আসক্ত একজন অসুস্থ মানুষ হলেও হিংস্র নন।অপহরণ, ধর্ষণ ও গর্ভধারিণীকে নির্যাতনের মাধ্যমে একটি ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কাস্ত্রোর বিরুদ্ধে। ওহাইওর পুনর্বাসন ও সংশোধন বিভাগের মুখপাত্র জো এলেন স্মিথ বলেন, কাস্ত্রোকে একটি সুরক্ষিত কারাপ্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছিল। তবে কয়েদিকে আত্মহত্যা থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা সেখানে ছিল না। এএফপি ও বিবিসি। | 14,492 |
বগুড়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১২:৫৪ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৩৫ | শিবগঞ্জ,বগুড়া | 0 | বগুড়া-জয়পুরহাট সড়কে গর্তে আটকা গাড়ি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1285271 | বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুরিয়া এলাকায় বগুড়া-জয়পুরহাট আঞ্চলিক সড়কের গর্তে পণ্যবাহী কয়েকটি ট্রাক আটকে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। জয়পুরহাটের সঙ্গে বগুড়া, রাজধানীসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।সড়কের দুপাশে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। গত বুধবার রাতে প্রথমে পাথর ও ডালবাহী দুটি ট্রাক সড়কের গর্তে পড়ে আটকে যায়। পরে পণ্যবাহী আরও কয়েকটি ট্রাক গর্তে পড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।কালাই বাসস্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর জয়পুরহাট জেলার সঙ্গে বগুড়া ও রাজধানী ঢাকার পথে চলাচলকারী সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল থেকে বগুড়ার বাস বলরামপুর পর্যন্ত এবং জয়পুরহাটের বাস বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে চলাচল করছে।বগুড়া মোটরমালিক গ্রুপের মুখপাত্র ও শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার রাত থেকে বগুড়া-জয়পুরহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় মালিক-শ্রমিকদের চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বগুড়ার বাস কিচক পর্যন্ত এবং জয়পুরহাটের বাস ধুনট পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে চলাচল করছে।সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পণ্যবাহী যানগুলোকে টেনে তোলার জন্য সওজের উদ্ধারকারী ট্রাক পাঠানো হয়েছে।নাজমুল হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সওজ বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই। | 332,040 |
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:০১ | ১৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:০৬ | রাজনীতি | null | নেতৃত্বে আজগারের অনুসারীরা হুইপ সোলায়মানের পক্ষ ক্ষুব্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1145201 | সম্মেলনের তিন দিন পর কৃষক লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারকে সভাপতি ও মো. আসাদুজ্জামান কবীরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। দুজনই চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ আলী আজগারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের এ সিদ্ধান্ত যথাযথ হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারেরর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত খুস্তার জামিল এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনারা কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে জানতে চান, যাঁরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে ভোট করেছেন, তাঁদের কেউ নেতৃত্বে আসতে পারেন কি না?’কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. মোহাতার হোসেন মোল্লা গত বুধবার চুয়াডাঙ্গার কমিটি-সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। এদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে চিঠির বিষয়টি জানাজানি হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারকে সভাপতি ও মো. আসাদুজ্জামান কবীরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলো। ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ (বুধবার) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কেন্দ্রীয় সভাপতি তা অনুমোদন করেন। এতে কাউন্সিলর ও দলের সাধারণ কর্মীদের মতামতকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় মূল দল আওয়ামী লীগের মতো কৃষক লীগেও দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি অংশ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ সোলায়মান হকের অনুসারী; অপর অংশটি জেলা শাখার সহসভাপতি সাংসদ আলী আজগারের অনুসারী। সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক তছিরুল আলম মালিক দুজনই হুইপ সোলায়মানের অনুসারী। নতুন কমিটির দুজনই সাংসদ আজগারের অনুসারী হওয়ায় চটেছেন হুইপের অনুসারীরা। নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক তছিরুল আলম মালিক বুধবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি প্রথম শুনলেন। এ বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। আর বিদায়ী সভাপতি মো. আজিজুল হক বিষয়টি শুনে অনেকটা অবাক হন। ৯ এপ্রিল জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে চুয়াডাঙ্গা কৃষক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর এ সম্মেলনে নতুন কমিটির ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোতাহার হোসেন ছাড়াও অন্তত এক ডজন নেতা। কাউন্সিল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত কাউন্সিলরদের কাছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য নাম চান। তখন হুইপের অনুসারীরা আজিজুল হককেই সভাপতি রাখতে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুর রশিদকে সাধারণ সম্পাদক করতে প্রস্তাব দেন। অপরদিকে সাংসদ আজগারের অনুসারীদের পক্ষ থেকে মোমিনপুর ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারকে সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীরকে সাধারণ সম্পাদক করার প্রস্তাব ওঠে। নাম প্রস্তাবের সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নেতারা আধা ঘণ্টা পর কমিটি ঘোষণা করার কথা বলে মঞ্চ ত্যাগ করেন। কিন্তু পরে সম্মেলনস্থলে না ফিরে তাঁরা ঢাকায় চলে যান। | 311,431 |
শরীয়তপুর প্রতিনিধি| | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মার্চ ২০১৬, ০০:২৫ | ২১ মার্চ ২০১৬, ০০:২৬ | শরীয়তপুর,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | জাটকায় জরিমানা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/804982 | শরীয়তপুরের নড়িয়া বাজার ও চাকধ বাজারে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই ব্যবসায়ীকে গতকাল রোববার পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। দণ্ড পাওয়া ব্যবসায়ীরা হলেন সেলিম দেওয়ান (৫০) ও সিরাজ ব্যাপারী (৪০)। নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মস্তফা বাজারে জাটকা বিক্রি করা অবস্থায় ওই দুই ব্যবসায়ীকে আটক করেন। এ সময় ১২০ কেজি জাটকা আটক করা হয়। মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সামছুল হক ওই দুজনকে মৎস্য আইনে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। | 212,906 |
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০০:০৭ | ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৯ | মানিকগঞ্জ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | আসামি গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1006141 | মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ তমিজ উদ্দিন (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে চান্দহর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে বাবাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তমিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। | 258,932 |
মামুন মুহাম্মদ, সাতকানিয়া | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪২ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৩ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | নাশকতা ঠেকাতে কেরানীহাটে সিসি ক্যামেরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/449503 | চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে সাতকানিয়া উপজেলার অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্র কেরানীহাটে নাশকতা প্রতিরোধ ও সহিংসতা ঠেকাতে সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) বসানো হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিজস্ব অর্থায়নে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় এই ক্যামেরাগুলো বসানো হয়। কেরানীহাট ব্যবসায়ী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি কেরানীহাটের দেড় কিলোমিটার এলাকার আটটি স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। এর পাশাপাশি আরও আটটি স্থানে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি ককটেল নিক্ষেপকারী দুই যুবককে সিসি ক্যামেরা দেখে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ব্যবসায়ী সমিতি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর কেরানীহাটে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা–কর্মীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের পাশাপাশি যানবাহনে ব্যাপক হারে আগুন দেন। কেরানীহাটের আশপাশের এলাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের অন্তত ১১টি স্থানে বেশ কয়েক দিন টানা নাশকতা চলে। ফলে ওই বছর কেরানীহাটের ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি চলতে থাকা হরতাল–অবরোধে কেরানীহাটে কয়েক দফা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নাশকতাকারীরা। ফলে আবারও ব্যবসায়ীদের মাঝে লোকসানের আশঙ্কা দেখা দেয়। তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে কেরানীহাটে মোটরসাইকেল চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। তাই সহিংসতা ঠেকাতে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সহসভাপতি ওসমান আলী বলেন, স্বাভাবিক সময়ে কেরানীহাটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গড়ে প্রতিদিন ২০-২৫ কোটি টাকা লেদদেন হয়। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর ২০১৩ সালের মতো এবছরও লেনদেন কমে পাঁচ-সাত কোটি টাকায় এসে ঠেকেছে। তাছাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি, ছিনতাইসহ নানান অপরাধও বেড়ে গেছে। এই কারণে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, কেরানীহাটে সিসি ক্যামেরা বসানোর সুফল ব্যবসায়ীরা অবশ্যই পাবেন। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অপরাধী চিহ্নিত করা সহজ। ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরায় ককটেল বিস্ফোরণকারী দুই যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এ কে এম এমরান ভূঞা বলেন, নাশকতা প্রতিরোধ ও সহিংসতা ঠেকাতে এবং অপরাধী চিহ্নিত করার জন্য কেরানীহাটের ব্যবসায়ীরা নিজেদের অর্থায়নে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। এর ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য কেরানীহাটের চারপাশের এলাকার অবস্থা জানা সহজ হবে। | 114,907 |