author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:০৬ | ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:২৫ | অপরাধ,কক্সবাজার,টেকনাফ | null | পানের বরজে ১২ লাখ ইয়াবা বড়ি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1161216 | কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পানের বরজ থেকে চারটি বস্তায় থাকা ১২ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। উদ্ধার হওয়া ইয়াবা বড়ির মূল্য ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে বিজিবির ভাষ্য। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া-কুড়েরমুখসংলগ্ন এলাকার পানের একটি বরজ থেকে এই ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে টেকনাফ ২ বিজিবি।টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, ওই এলাকা দিয়ে ইয়াবা বড়ির একটি বড় চালান বাংলাদেশে আসছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির কয়েকটি বিশেষ টহল দল সংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি করতে থাকে। আজ সকালে তাঁর (অধিনায়ক) নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল অভিযানে গিয়ে পানের একটি বরজের ভেতরে চারটি বস্তা পায়। বস্তাগুলো খুলে ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।বিজিবি সূত্র জানায়, তারা এককভাবে এ পর্যন্ত ইয়াবা বড়ির যত চালান আটক করেছে, তার মধ্যে আজকের চালানটি সর্ববৃহৎ। এর আগে ১৬ এপ্রিল টেকনাফ থেকে ৯ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা বড়ি আটক করেছিল বিজিবি।টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করায় এখন মাদক ব্যবসায়ীরা গভীর সমুদ্র দিয়ে ইয়াবা বড়ির চালান পাচার করছে। তাই সমুদ্রে টহল ও নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।বিজিবি জানায়, আজ উদ্ধার হওয়া ইয়াবা বড়ি টেকনাফে বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদরে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা ধ্বংস করা হবে। | 314,178 |
উৎপল শুভ্র, মেলবোর্ন থেকে | sports | খেলা | ১৭ মার্চ ২০১৫, ০২:৪৭ | ২৯ মে ২০১৯, ১৪:০৬ | খেলার আগে (ক্রিকেট),উৎপল শুভ্র,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,বিশ্বকাপ উৎসব,ক্রিকেট | null | ভারতের সঙ্গে খেলাটা শুধুই খেলা নয় | http://www.prothom-alo.com/sports/article/479215 | ল্যাংহাম হোটেলের লবিতে ইয়া মুষ্ক দুই জওয়ান। যে-ই হোটেলে ঢুকছে, তার দিকেই সন্দিগ্ধ দৃষ্টি। ভাবভঙ্গি দেখে বুঝতে একটুও সমস্যা হয় না, পেশাদার নিরাপত্তারক্ষী। এমনই তো হওয়ার কথা। এই হোটেলেই আগামী বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনালের দুই দল বাংলাদেশ ও ভারত। নিরাপত্তার একটু কড়াকড়ি তো থাকবেই।কিন্তু ভারতীয় দলের হোটেলে ঢুকতে তো তখনো ঘণ্টা চারেক বাকি। আর বাংলাদেশ দল তিন দিন ধরেই এখানে। এই ‘সুমো কুস্তিগির’দের তো আগে দেখা যায়নি! কথা বলে এ-ও জানা গেল, বিশ্বকাপ ক্রিকেট নামে যে একটা বস্তু আছে, সেটাই তাদের জানা নেই। তাহলে এঁরা কারা?দুপুর ১২টার দিকে যাঁরা ল্যাংহাম হোটেলের সামনে ছিলেন, উত্তরটা তাঁদের জানা। মেলবোর্নের রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে তখনই হোটেলে ফিরলেন দৈত্যাকৃতির এক ভদ্রলোক। সাইকেল থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে বৃত্ত রচনা করলেন যে পাঁচ দেহরক্ষী, তাঁদের মধ্যে ওই দুজনও ছিলেন।বডি বিল্ডিং, বিকিনি প্রতিযোগিতা আরও কী কী কাজে মেলবোর্নে আসা ‘টার্মিনেটর’ আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার যে ল্যাংহাম হোটেলেই উঠেছেন, সকালেই সেটি জানা হয়ে গেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। ব্রেকফাস্ট রুমে মুশফিক দূরের একটা টেবিলের দিকে চোখ নাচিয়ে বললেন, ‘দেখেন তো, কালো গেঞ্জি পরা ওই লোকটাকে চিনতে পারেন কি না?’ মুশফিকের কণ্ঠে সহজে রোমাঞ্চ খেলা করে না। এখানে করছে। সকালে উঠেই জিমে গিয়েছিলেন, সেখানে পাশে সাবেক মিস্টার ইউনিভার্স! রোমাঞ্চিত হওয়ার মতো ব্যাপারই তো! মুশফিকের স্বপ্নের নায়ক অবশ্য শোয়ার্জেনেগার নন, ‘আমার র্যাম্বোকে দেখার খুব ইচ্ছা।’ র্যাম্বো মানে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের শরীর আর কণ্ঠ দুটিতেই মুশফিকের মুগ্ধতা।তারকাদেরও তাহলে তারকা থাকে! নইলে বেলা দেড়টার দিকে বাংলাদেশ দল যখন এমসিজিতে অনুশীলনে যাওয়ার বাসে উঠছে, মুশফিকদের এক নজর দেখতেও তো প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটা জটলা। অটোগ্রাফ নেওয়ার চল এখন প্রায় উঠেই গেছে। স্মার্টফোনের যুগে এখন ভক্তদের চাহিদা প্রিয় তারকার সঙ্গে ছবি। বাসে ওঠার আগে সেই দাবিও মেটালেন অনেকে।এমসিজিতে নেটের পাশে ভারতীয় সাংবাদিককুলের কাছেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তারকা মর্যাদাই পেল। মাহমুদউল্লাহর এমন দুর্দান্ত খেলার রহস্য, সৌম্য সরকার হঠাৎ কোত্থেকে এল, বাংলাদেশ যে এই বিশ্বকাপে এত ভালো খেলছে তাতে কোচের কী ভূমিকা, নভজোৎ সিধু কী যেন বলেছে তা নিয়ে নাকি বাংলাদেশে তোলপাড়—তাদের এমন হাজারো কৌতূহল মেটাতে হলো বাংলাদেশের সাংবাদিকদের। নেটে বোলিং করতে করতে মাশরাফি পরিচিত বাংলাদেশের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছেন, এটা হয়ে দাঁড়াল অষ্টম আশ্চর্যের ব্যাপার।কারণটা বুঝতে আপনাকে ধোনির দলের সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সম্পর্কটা জানতে হবে। প্রতিটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের সময়ই ভারতীয় পত্রপত্রিকায় ছাপা হতে দেখবেন, ক্রিকেটার-প্রেস সম্পর্কটা এখন সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। পরের টুর্নামেন্টেই সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। এবার বিরাট কোহলি ভারতীয় এক সাংবাদিককে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি করার পর সেটি সত্যিকার অর্থেই তলানিতে। সামনে পড়ে গেলেও ক্রিকেটার-সাংবাদিকে চোখাচোখি পর্যন্ত হচ্ছে না। পরিস্থিতি এমনই যে, ভারতীয় দলের নেট থেকে কোনো ক্রিকেটার কোনো সাংবাদিকের উদ্দেশে প্রীতিমূলক কিছু বললে সেই সাংবাদিক বোধ হয় বিস্ময়ে অজ্ঞান হয়ে যাবেন!এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় কৌতুক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দলের মিডিয়া ম্যানেজার ডা. বাবার ই-মেইল। যাতে তারিখ বদলে একটা কথাই বোধ হয় বারবার কপি-পেস্ট করে দেওয়া হয়: ‘নো মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি।’ বিশ্বকাপে প্রতিটি দলই অনুশীলনের পর দলের একজনকে সংবাদ সম্মেলনে পাঠাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড তো অনুশীলন নেই, এমন দিনগুলোতেও। সেখানে ম্যাচের আগে-পরের সংবাদ সম্মেলন ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটাররা সাংবাদিকদের ছায়াও মাড়াচ্ছেন না। ধোনি নাকি এমনও বলেছেন, আইসিসির বাধ্যবাধকতা না থাকলে সংবাদ সম্মেলনটাও তুলে দিতেন।বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পরিচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডাও মারেন—এটা শোনার পর ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিকেরা তাই অতীত দিনের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর নবীনেরা অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকেন। তাঁদের কাছে যে ‘ক্রিকেটাররা শুধুই দেখার জিনিস। কথা বলার নয়।’ আইপিএল রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দেওয়াতেই কোহলিরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন—কান পাতলে ভারতীয় সাংবাদিকদের এই ধারণার সমর্থন কিন্তু বাংলাদেশ দলেও শুনতে পাওয়া যায়।ভারতের বিপক্ষে খেলা মানে আরও অনেক কিছুর সঙ্গে খেলা, এমন একটা ধারণা আছেই। বিশ্বকাপে ভারতীয় দল বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে, এই ক্ষোভও আছে অনেকের মনে। তাঁদেরই একজন তীব্র শ্লেষের সুরে বললেন, ‘শুনলাম, ধোনি নাকি সংবাদ সম্মেলনে ভ্রমণক্লান্তির কথা বলেছে। আমাদের তুলনায় ওরা তো রাজার হালে খেলছে! পার্থেই দুটি ম্যাচ খেলেছে, নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বাসে দুই ঘণ্টা দূরত্বের হ্যামিল্টন আর অকল্যান্ডে পর পর দুটি ম্যাচ। এখানেই তো চলে গেল ২০-২২ দিন। আর আমরা এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ঘুরতে ঘুরতে শেষ!’ নামটা নাহয় গোপনই থাক।ভারতীয় দল অকল্যান্ড থেকে মেলবোর্নে আসার কথা সন্ধ্যার পর। সকালে ব্রেকফাস্ট রুমে গিয়ে তাই চমকে যেতে হলো—ওই টেবিলটায় গভীর চিন্তামগ্ন ওটা কে বসে, রবি শাস্ত্রী না? শাস্ত্রীই, কী কারণে যেন এক সাপোর্ট স্টাফকে নিয়ে আগেই চলে এসেছেন। ইন্টারভিউয়ের জন্য মিনিট দশেক সময় চাইতেই বললেন, ‘অনুমতি নিতে হবে।’ আপনি টিম ডিরেক্টর, আপনি আবার কার অনুমতি নেবেন? এবার শাস্ত্রী নাটকীয় ভঙ্গিতে বললেন, ‘আমরা কথা বলি না। আমরা কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী।’রবি শাস্ত্রীর ম্যাচের আগে মনস্তাত্ত্বিক খেলায়ও খুব বিশ্বাস। কথাটা এরই অংশ হতে পারে। তবে তখন তিনি কীভাবে জানবেন, ঘণ্টা চারেক পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তার চেয়ে এক কাঠি সরেস বলে প্রমাণিত হবেন! বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে কী পার্থক্য গড়ে দেবে—ভারতীয় এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের কোচ বললেন, কারা উপলক্ষটাকে বেশি উপভোগ করতে পারবে, এটাই হবে নির্ধারক।এই কোয়ার্টার ফাইনালটা কোন দলের জন্য বেশি উপভোগের উপলক্ষ, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! | 123,699 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ০৮ জুন ২০১৬, ০০:০২ | ০৮ জুন ২০১৬, ০০:১৫ | খবর,প্রতিষ্ঠানের খবর | 0 | এনআরবি ব্যাংকের ম্যানেজার কনফারেন্স | http://www.prothom-alo.com/economy/article/881239 | ঢাকার লেকশোর হোটেলে সম্প্রতি এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনফারেন্সটি উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই। ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মাহতাবুর রহমান, পরিচালক খলিলুর রহমান চৌধুরী, মো. একরামুল হক, এম বদিউজ্জামান, কামাল আহমেদ, তাতিয়ামা কবির, নেসার আহমেদ চৌধুরী, আবদুল করিম, ফজলুর রশিদ খান, খন্দকার আর আমিন, বিকল্প পরিচালক আমিনুর রশিদ খান, মোহাম্মাদ জাহেদ ইকবাল, উপদেষ্টা ইকবাল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও জীশান হাসিব এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি। | 230,357 |
বরিশাল অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জুলাই ২০১৪, ০২:০৪ | ২১ জুলাই ২০১৪, ০২:০৬ | বরিশাল বিভাগ,বরিশাল,বিশাল বাংলা | 0 | দুর্ভোগে ব্রাঞ্চ রোডের বাসিন্দারা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/273475 | বরিশাল নগরের কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড কয়েক বছর ধরেই খানাখন্দে ভরা। মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ছে এলাকাবাসী।এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুই বছর আগে দরপত্র আহ্বান করা হলেও অজ্ঞাত কারণে ওই দরপত্র বাতিল হয়ে যায়। এতে কাদা-পানি পেরিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় বাসিন্দাদের।বরিশাল সিটি করপোরেশনের দাবি ওই সড়ক মেরামতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু সড়ক প্রশস্ত করার জন্য কিছু স্থানে ভাঙতে হবে। এলাকাবাসী জায়গা না দেওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।ব্রাঞ্চ রোড এলাকার বাসিন্দা শুভংকর চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, পাঁচ-সাত বছর আগে একবার কোনোমতে লেপাপোছার কাজ হয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিনেও আর কাজ হয়নি। প্রতি ঈদে কিছু সুরকি দিয়ে গর্ত ভরাটের চেষ্টা চলে। তাতে আরও কাদা-পানি বাড়ে। দরপত্র হয় হয় করেও দুই বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। কিন্তু কাজ শুরু হচ্ছে না।সড়কের দ্বিতীয় পুকুর এলাকার বাসিন্দা বকুল বেগম বলেন, দুই বছর ধরে সমস্যা বেশি হচ্ছে। রাস্তা মেরামত এবং নর্দমার কাজ না করায় একটু বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে পানি উঠে যায়।মো. আক্তার হোসেন বলেন, এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহালেও সিটি করপোরেশন মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না। মো. শামীম আকন বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই কয়েক স্থানে হাঁটুসমান পানি দাঁড়ায়।সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আকবর হোসেন বলেন, সড়ক সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসীর কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে সিটি করপোরেশন থেকে রাস্তার কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পরই কাজ শুরু হবে—এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে।ব্রাঞ্চ রোড সেকশন এলাকার বাসিন্দা ইমরুল আহম্মেদ বলেন, দুই বছর আগে সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরন দায়িত্বে থাকাকালীন একবার দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু বর্তমান মেয়র আসার পর তা বাতিল হয়ে যায়।সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোতালেব হাওলাদার বলেন, আগে একবার মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়ে থাকতে পারে। তবে তা বাতিল হয়েছিল কি না, জানা নেই। বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। ওই কাজের সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত (এক্সটেনশন) কাজ থাকায় আরম্ভ করতে বিলম্ব হচ্ছে। | 79,484 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৫ | ২০ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৮ | পার্বতীপুর,দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | ছিনতাই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/127026 | দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় গতকাল রোববার ভটভটি থামিয়ে পাঁচ বস্তা পোলট্রি ফিড ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। বিরল উপজেলার এআর ফিড লিমিটেডের কারখানা থেকে ৪০ বস্তা পোলট্রি ফিড নিয়ে তিনি পার্বতীপুরের মেসার্স সরকার পোলট্রি হাউসে যাচ্ছিলেন। পার্বতীপুরের ভবেরবাজার এলাকায় পৌঁছালে ৮-১০ জন যুবক তাঁকে মারধর করে পাঁচ বস্তা পোলট্রি ফিড ছিনতাই করে। পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | 44,983 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ মে ২০১৯, ১৯:৪৮ | ১৮ মে ২০১৯, ১৪:৩৮ | সরকার,খাদ্য কতটা নিরাপদ,বিএসটিআই | null | আরও ২ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ২৫টির স্থগিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1594257 | নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত আর ২৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর মধ্যে ২টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের।আজ বৃহস্পতিবার বিএসটিআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এর আগে গতকাল বুধবার ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল বিএসটিআই। এর মধ্যে ৭টির লাইসেন্স বাতিল করা হয়, স্থগিত করা হয় ১৮টির।বিএসটিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই সব পণ্যের মানোন্নয়ন করে আবার অনুমোদন না নেওয়ার আগ পর্যন্ত উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের এসব পণ্য বিক্রি-বিতরণ, সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীদের বিক্রীত মালামাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোক্তাদেরও ওই সব পণ্য ক্রয় না করার অনুরোধ করা হয়েছে।লাইসেন্স বাতিল করা পণ্যগুলো হলো চট্টগ্রামের এস এস কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের মরিচের গুঁড়া পিওর হাটহাজারী এবং নওগাঁর কিরণ ট্রেডার্সের কিরণ লাচ্ছা সেমাই।লাইসেন্স স্থগিত করা পণ্যগুলো হলো বাঘাবাড়ী স্পেশাল ঘি, নিশিতা সুজি, মঞ্জিল হলুদের গুঁড়া, গ্রিন ল্যান্ডস মধু, শান হলুদের গুঁড়া, মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবণ, জেদ্দা লাচ্ছা সেমাই, নূর স্পেশাল আয়োডিনযুক্ত লবণ, অমৃত লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপার আয়োডিনযুক্ত লবণ, তিন তীর আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনা-স্টারশিপ আয়োডিনযুক্ত লবণ, তাজ আয়োডিনযুক্ত লবণ, ডলফিন মরিচের গুঁড়া, ডলফিন হলুদের গুঁড়া, সূর্য মরিচের গুঁড়া, মধুফুল লাচ্ছা সেমাই, মিঠাই লাচ্ছা সেমাই, কিং ময়দা, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, রূপসা ফারমেন্টেড মিল্ক, মেহেদী বিস্কুট, মিষ্টি মেলা লাচ্ছা সেমাই, মক্কা চানাচুর ও মধুবন লাচ্ছা সেমাই।গতকাল লাইসেন্স বাতিল করা হয় আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটার, নারজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার, আর আর ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, শান্ত ফুড প্রডাক্টস (পণ্য-টেস্টি, তানি ও তাসকিয়া), প্রিয়া ব্র্যান্ডের সফট ড্রিংক পাউডার ও বনলতা ঘি।গতকাল লাইসেন্স স্থগিত করা ১৮টি পণ্য হলো সরিষার তেলে সিটি ওয়েল মিল-গাজীপুর (তীর), গ্রিন ব্লিসিং ভেজিটেবল ওয়েল-নারায়ণগঞ্জ (জিবি), শবনম ভেজিটেবল ওয়েল-নারায়ণগঞ্জ (পুষ্টি), বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল-নারায়ণগঞ্জ (রূপচাঁদা); সুপেয় পানির মধ্যে আররা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (আররা), ডানকান প্রোডাক্ট (ডানকান), দীঘি ড্রিংকিং ওয়াটার (দীঘি); প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের প্রাণ ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই; হলুদের গুঁড়ার মধ্যে ড্যানিশ, প্রাণ ও ফ্রেশ। কারি পাউডারের মধ্যে প্রাণ ও ড্যানিশ; আয়োডিনযুক্ত লবণের মধ্যে এসিআই ও মোল্লা সল্ট; ধনিয়া গুঁড়ার মধ্যে এসিআই পিওর, নুডলসের মধ্যে নিউজিল্যান্ড ডেইরির নুডলস এবং চিপসের মধ্যে কাশেম ফুডের সান ব্র্যান্ড।এর আগে ১২ মে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় নিম্নমান প্রমাণিত হওয়ায় ৫২টি খাদ্যপণ্য অবিলম্বে বাজার থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব খাদ্যপণ্য বিক্রি ও সরবরাহে জড়িত লোকজনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ৫২ পণ্য বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় পুনরায় উত্তীর্ণ না হচ্ছে, ততক্ষণ এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। মাদকবিরোধী অভিযানের মতো খাদ্যে ভেজাল মেশানোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।৫২টি পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার বা জব্দ চেয়ে কনসাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআইয়ের দুই কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে আদালতে হাজির হতে বলেন। সেই অনুযায়ী তাঁরা আদালতে হাজির হন। আদালত সব পক্ষের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।৩ ও ৪ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি নিম্নমানের ও ভেজাল পণ্য রয়েছে। এর আগে ২ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিএসটিআই।বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে খোলাবাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা ক্রয় করে বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩১৩টি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫২টি পণ্য পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। বাসসের প্রতিবেদন অনুসারে ভেজাল পণ্যগুলো হলো সিটি অয়েলের সরিষার তেল, গ্রিন বি চিংয়ের সরিষার তেল, শবনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার, মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকান ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দীঘি ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদগুঁড়া, প্রাণের হলুদগুঁড়া, ফ্রেশের হলুদগুঁড়া, এসিআইর ধনিয়াগুঁড়া, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচগুঁড়া, মিষ্টিমেলা লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইর লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইর আয়োডিনযুক্ত লবণ, মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মঞ্জিলের হলুদগুঁড়া, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ফুডের হলুদগুঁড়া, গ্রিন লেনের মধু, কিরণের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচগুঁড়া, ডলফিনের হলুদগুঁড়া, সূর্যের মরিচগুঁড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদীনার আয়োডিনযুক্ত লবণ, নুরের আয়োডিনযুক্ত লবণ।আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ১৮টির স্থগিত | 402,162 |
এম সাখাওয়াত হোসেন | opinion | মতামত | ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:২৫ | ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:২৮ | এম সাখাওয়াত হোসেন,লেখকের কলাম | null | একটি পূর্বপরিকল্পিত গণহত্যা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1344961 | ১০ অক্টোবর ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের বর্তমান রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমার-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয় নিয়ে। মূলত বৈঠকটি ছিল বাংলাদেশ সরকার এ সমস্যা নিরসনে এ পর্যন্ত যেসব কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে যত দূর সম্ভব জনসমক্ষে প্রকাশ ও আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সুধী সমাজের সঙ্গে আলোচনা করা। প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরে পররাষ্ট্রসচিব এ পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপ এবং সমস্যা সমাধানে ভবিষ্যতে করণীয় বিষয়ে আভাস দিয়েছেন। পরে করণীয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল।এই প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বললেন, যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে, তাতে এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে, এমনটি তিনি মনে করেন না। পক্ষান্তরে তিনি বলেন যে ১৯৯২ সালের ফর্মুলায় এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশ যে চায় না, তা তিনি সদ্য সফরে আসা মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। পরে সচিবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা নিয়েও তিনি বলেন এবং তাঁর আলোচনা থেকেও পরিষ্কার যে এ সমস্যা সহজে সমাধান হবে তা নয়। কারণ, সমস্যাটি সোজাসাপ্টা নয়। এ সমস্যার গভীরতা অনেক। এর মধ্যে যেমন রয়েছে মানবতার বিষয়, তেমনি রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক জটিলতা। এ সমস্যা যে গভীর তা বুঝতে উপস্থিত কারও অসুবিধা হয়নি। একই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিয়ানমার যে সময়ক্ষেপণ এবং আন্তর্জাতিক মহলকে আরেকবার ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাতে কারও সন্দেহ ছিল না। তথাপি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পথ খুলে রাখার প্রয়োজনীয়তা সবাই উপলব্ধি করেছেন। যেমনটা পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সচিব এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও বলেছেন।দ্বিপক্ষীয় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষাপটে শিগগিরই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরের কথা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারে সম্ভবত দুটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেই বৈঠক করবেন, যার মধ্যে স্বরাষ্ট্র এবং সীমান্তসংক্রান্ত আলাদা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং দুটি স্মারক স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে বলে বলা হয়েছে। তবে স্মারকগুলো কী বিষয়ে তা জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে দুটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে ধারণা করা যায়, সে মন্ত্রণালয় দুটিতে মন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী দুজনই চাকরিরত সেনাপ্রধান-নিয়োজিত কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার এবং উপমন্ত্রী মেজর জেনারেল মর্যাদার সেনা কর্মকর্তা। মিয়ানমারের অন্যতম মানবাধিকারকর্মী এবং সাংবিধানিক আইনজীবী বাঙালি বংশোদ্ভূত কো নিহ হত্যার পেছনে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিয়াং সয়ের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। উল্লেখ্য, কো নিহর বাবা সুলতান ১৯৬০ সালে মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন।অপরদিকে সীমান্তসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ে তাৎ এবং উপমন্ত্রী হিসবে দায়িত্ব পালন করছেন মেজর জেনারেল থান হুট। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে রোহিঙ্গা নিধন এবং এই গণহত্যার পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করার দায়দায়িত্ব এই চার জেনারেলসহ সামরিক বাহিনীর প্রধানের ওপরেই বর্তায়। ‘অপারেশন ক্লিয়ারেন্স’-এর কার্যকারিতার মূলে অন্যদের মধ্যে এই চারজনের দায়িত্ব কোনো অংশেই কম নয়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দরিদ্র রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রক্তে এঁদের হাত রঞ্জিত। তাঁদের মুখোমুখিই হবেন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই জেনারেলদের বিরুদ্ধে কাচিন এবং কারেন গণহত্যার অভিযোগও রয়েছে। তবে ওই সব জাতিগোষ্ঠী মিয়ানমারের স্বীকৃত জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ার কারণে নিজ নিজ এলাকায় ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করেছে, যার প্রশাসনের দায়িত্বও এসব জাতিগোষ্ঠীর ‘সন্ত্রাসী’ বা টেররিস্ট বলে আখ্যায়িত বিদ্রোহীদের হাতে।মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা মুসলমানদের যে গণহত্যার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে উৎখাত করা হচ্ছে, তা যথেষ্ট পরিকল্পিত। যারা এ পরিকল্পনার ও বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত, তারা যে আটঘাট বেঁধে নেমেছে, তাতে সন্দেহ থাকার কথা নয়। এ পরিকল্পনা অনেক দিনের। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক সিনিয়র জেনারেল (ফিল্ড মার্শাল) মিন অং লাইংয়ের বিগত দুই বছরের বিদেশ সফরের মূল লক্ষ্য ছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পেছনের শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে কয়েকটি রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন যে তারা পাবে, সে ব্যাপারেও তারা নিশ্চিত ছিল। কাজেই বিশ্বব্যাপী নিন্দা এবং চাপে মিয়ানমারের সরকারের চালক সেনাবাহিনী যে বিচলিত, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই ব্যক্তিরা আলোচনার বাইরে ছিলেন। মাত্র কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের হুঁশিয়ারির প্রেক্ষাপটে তাঁদের কর্মকাণ্ড ও দায়িত্ব ক্রমেই জনসমক্ষে প্রকাশ পাচ্ছে।এই প্রেক্ষাপট এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে মাথায় রেখে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেওয়া উত্তম। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার তাদের দৃষ্টিভঙ্গি যেন আমাদের ওপরে চাপাতে না পারে, এমন মতামত জোরালোভাবে উঠে এসেছিল উল্লেখিত গোলটেবিল বৈঠকেও।রোহিঙ্গা নিধন ও উৎখাত তথাকথিত ‘আরসা’র আক্রমণের প্রেক্ষাপটে হয়েছে, তেমন মোটেও নয়। ২৫ তারিখের এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বলতে শুরু করেছিল। আর এটাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত রোহিঙ্গা উৎখাতকল্পে প্রথম পর্বে ‘গণহত্যার’ সূত্রপাত। অতি দ্রুত ৪১৭টি গ্রামের অর্ধেকের বেশি পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে হত্যা, ধর্ষণ এবং লুটপাটের মতো গর্হিত কাজ সম্পন্ন করেছে। এসব অপকর্মের অগ্রগামী ছিল রাখাইন-বৌদ্ধ যুব সংগঠন প্যাট্রিয়টিক ইয়ুথ নেটওয়ার্কের সদস্যরা, যারা সামরিক ও গণহত্যার প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত, যার পেছনে সামরিক বাহিনীর পরিকল্পনা।রাখাইন অঞ্চলে অপারেশন ক্লিয়ারেন্সের প্রথম ধাপ ছিল বাদবাকি রোহিঙ্গা মুসলমানের ভেতরে নিদারুণ ভীতির সৃষ্টি করা, যার অন্যতম হাতিয়ার গণধর্ষণ ও হত্যা। পরিকল্পনাকারীরা এ অপারেশনের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া যে হবে তা নিশ্চয়ই ধর্তব্যের মধ্যে রেখেছিল। এ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে শুধু তা-ই নয়, তাদের মনোবল ভেঙেছে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের আটক ও হত্যার মাধ্যমে। পরবর্তী ধাপে ভয়ভীতি দেখানোর মাধ্যমে বাকিদের গ্রামছাড়া করা হয় এবং বর্তমানে চলছে বিভিন্ন উপায়ে রাখাইন অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তর রাখাইন থেকে নিশ্চিহ্ন করা। তবে এবার যেভাবে আটঘাট বেঁধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা নেমেছে, তা সহজে থামবে না। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী তথা সরকার তাদের কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব ভালোভাবেই জানে এবং তার ব্যবহারও অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে করছে। যে কারণে দুটি পরস্পরবিরোধী আঞ্চলিক শক্তির সহযোগিতায় এবং রাশিয়াকে অর্থনৈতিক অঙ্গনে ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।আমার এ লেখা শেষ করার আগেই ১১ অক্টোবর ২০১৭ সালে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেখানে একই কথা বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। তাদের বিবরণে আরও বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এবং তাদের বিবরণে বলা হয়েছে যে গত ২৫ আগস্ট আরসা আক্রমণের আগে থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা নেতা, শিক্ষক ও শিক্ষিতদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছিল। তাদের বিবরণের সারমর্মে বলা হয়েছে যে উত্তর রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে উৎখাত করার জন্য এই সুপরিকল্পিত ‘হত্যাযজ্ঞ’। এবং বিতাড়িত এই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই আপাতদৃষ্টিতে বর্তমান মিয়ানমার সরকারের নেই। প্রায় একইভাবে আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূত, যিনি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন, একই মতামত ব্যক্ত করেছেন।এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা কোনো আশু ফল বয়ে আনবে, এমনটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মনে করে না। কাজেই দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকে বহুপক্ষীয় করাই হবে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য। এ ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকার জন্য প্রয়োজনে কৌশলগত ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা আরও দৃশ্যমান হওয়া কাম্য। তবে দ্বিপক্ষীয় সংগত আলোচনার পথ অবশ্যই উন্মুক্ত রাখতে হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয়ের একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান না হলে সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। মিয়ানমার অত্যন্ত কঠিন ও জটিল একটি দেশ। এ দেশের অভ্যন্তরীণ জটিলতা উপলব্ধি না করলে মিয়ানমারের কূটনীতি, সামরিক নীতি ও রাজনীতি বুঝতে বেশ বেগ পেতে হবে।আমরা এক কঠিন অবস্থার মুখোমুখি। এ সমস্যা আমাদের একার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। আর মিয়ানমার নিজ থেকে এ সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথ দেবে না। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ নিজেদের স্বার্থে মিয়ানমারকে সমর্থন করেছে। আমি মনে করি, ওই সব দেশের স্বার্থ আমাদের দেশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আমাদের কৌশলগত অবস্থান আমাদের স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত, অন্য কাউকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নয়। একই সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের দেশের নাগরিক সমাজেরও এগিয়ে আসা উচিত।আমাদের বুঝতে হবে যে এই সমস্যা শুধু সরকারের নয়, সমগ্র জাতির। কারণ, এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে এই অঞ্চল অস্থিরতায় ভুগবে। পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নিধন ও প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করার আশা রাখি।এম সাখাওয়াত হোসেন: সাবেক নির্বাচন কমিশনার, কলাম লেখক ও পিএইচডি গবেষক।hhintlbd@yahoo.com | 341,400 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৮ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫১ | ক্রিকেট | null | কোচ নির্বাচনে বিসিবির সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন মাশরাফি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1366246 | চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের বাংলাদেশের অধ্যায়টা শেষ হয়ে গেল কি না, সেটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। হাথুরু ঢাকায় এলে তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বিসিবি। তবে বাংলাদেশ দলের পরবর্তী কোচ কে হবেন, সেটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে।তবে নতুন কোচ নিয়োগে খেলোয়াড়দের মতামত কি নেবে বিসিবি—প্রসঙ্গটা আজ উঠেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার সামনে। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক যদিও মনে করেন না, কোচ নিয়োগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোনো আলোচনার প্রয়োজন আছে, ‘আজ পর্যন্ত যত (বিদেশি) কোচ এসেছেন গত ১৬-১৭ বছরে, আমার অন্তত মনে পড়ে না আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়েছে। এখনো মনে করি না আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। আমাদের দায়িত্ব মাঠে খেলা। যিনিই আসুন, তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে। কে আসবেন, সেটা ব্যাপার নয়। যিনি আসবেন, নিশ্চয়ই তাঁর সাক্ষাত্কার নেবে বিসিবি। তাঁকে চিন্তা করেই নেওয়া হবে।’বিসিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কোচ নিয়োগে তাড়াহুড়ো নেই তাঁদের। আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজটা চালিয়ে নিতে হাথুরুকে প্রস্তাব দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। সেটি না হলে আপৎকালীন সময়ে দেশের কোনো কোচ হয়তো সিরিজটা চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দেবে বিসিবি। তবে যে সিদ্ধান্তই হোক, বিষয়টির দ্রুত সমাধানের আশা মাশরাফির, ‘আমরা বিসিবির অধীনে আছি। বিসিবি যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাতেই থাকতে হবে। আর এখনো হাথুরুর চলে যাওয়াটা নিশ্চিত হয়নি। তাঁর আসার কথা। আলোচনা করে যদি থেকে যায়, তাহলে তো ভালোই। এটা নিয়ে সব প্রশ্ন শেষ। যদি না থাকে, তবে বিসিবি চিন্তা করবে কে আসবে। যে কোচই আসুন, তাঁর অধীনে আমরা মানিয়ে নিতে পারব।’ | 344,677 |
জাহিদ হোসাইন খান | education | শিক্ষা | ১২ জুন ২০১৬, ০০:০১ | ১২ জুন ২০১৬, ০০:০১ | স্বপ্ন নিয়ে,মেধাবী | 0 | নাহিনের নানা রং | http://www.prothom-alo.com/education/article/885001 | কখনো বিজ্ঞানী, কখনো লেখক, আবার কখনো ক্রিকেটার—ছোটবেলায় এই তিনের যেকোনো একটি হতে চেয়েছিলেন খাদিজাতুল কোবরা। তাঁর ডাকনাম নাহিন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিকে পড়ার ব্যস্ততা, অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবা আর সামাজিক কাজে দারুণভাবে যুক্ত তিনি।স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে সবাই যখন ঢাকামুখী হওয়ার চেষ্টা করেন, তখন নাহিন তাঁর গন্তব্য ঠিক করেছিলেন সিলেট। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে শাবিপ্রবিতে পা রাখেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা’ হওয়ার নেশাই নাকি তাঁকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এনেছিল। ক্যাম্পাসে এসেই যুক্ত হন জ্যোতির্বিজ্ঞান-বিষয়ক সংগঠন ক্যাম-সাস্টে। জ্যোতির্বিজ্ঞানে তাঁর আগ্রহ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ২০১৪ সালে নাসা ও জাতিসংঘের বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ আয়োজনে যুক্ত হন। পড়ালেখার জন্য সিলেটে থাকতে হলেও নিজ এলাকায় কাজ করার ইচ্ছাটা দমে যায়নি। নারায়ণগঞ্জের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্যোতির্বিজ্ঞান-বিষয়ক কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজনেও অংশ নিয়েছেন তিনি।বিজ্ঞান ছাড়া নাহিনের আগ্রহ খেলাধুলা আর সাংস্কৃতিক আয়োজন নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো অনুষ্ঠানে তাঁর গান কিংবা নাচের পরিবেশনা থাকবেই। কী ধরনের গান গাইতে ভালোবাসেন? নজরুলসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, আধুনিক গান...? নাহিনের উত্তর, ‘সব’। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান শেখার সুযোগ না হলেও ছোটবেলা থেকে বড় বোনের কাছে গান শিখেছেন। ২০০৫ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে গান আর অভিনয় বিভাগে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। সে সময় নাহিন স্কুলভিত্তিক প্রতিভা যাচাইয়ের প্রতিযোগিতা মার্কস অলরাউন্ডারেও সিলেট অঞ্চলে সেমিফাইনালিস্ট নির্বাচিত হন।ব্যাডমিন্টন আর ক্রিকেটে তাঁর ভীষণ আগ্রহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় এখন তিনি রানারআপ। ২০০৫ সালে জেলাভিত্তিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। স্কুল-কলেজে পাঁড় ক্রিকেটভক্ত ছিলেন। সেই নেশায় নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের ক্রিকেট দল তৈরি করা নিয়ে এখন বেশ তোড়জোড় চালাচ্ছেন। কলেজ পর্যন্ত ছেলেদের সঙ্গেই পাড়া-মহল্লায় ক্রিকেট খেলতেন। সেই আগ্রহেই নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে শাবিপ্রবির প্রমীলা ক্রিকেট দল তৈরি করার কথা ভাবছেন।ক্রিকেট মাঠের অলরাউন্ডার নাহিন মনে হচ্ছে জীবনেও অলরাউন্ডার হতে চান। নাচ, গান, খেলাধুলা, স্বেচ্ছাসেবা—এসবের বাইরেও চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহ আছে তাঁর। ইউএসএআইডির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি বানানোর প্রতিযোগিতায় তাঁর পরিচালিত সিনেমা শাবিপ্রবিকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। এ ছাড়া গল্প, ছড়া, লেখালেখিতেও তিনি আছেন।এত্ত কিছুতে যাঁর পারদর্শিতা, সেই নাহিন ভবিষ্যতে কী হতে চান? এমন প্রশ্নে তাঁর হাস্যোজ্জ্বল উত্তর, ‘ছোটবেলায় কার্টুন চরিত্র মীনা হতে চাইতাম। মীনার দারুণ ভক্ত ছিলাম। বড় হয়ে দেখেছি সবাই যার যার জীবনে মীনা-রাজু হতে পারে। নিজের আগ্রহ আর কাজ করার প্রত্যয় মানুষকে বদলে দেয়। আমি বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সমাজ বদলের কাজ করতে চাই।’এ ছাড়া শাবিপ্রবিতে পড়াশোনা শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাতে চান তিনি। নিজের অভিজ্ঞতার ঝুড়ি ভারী করে দেশে ফিরে হাজারো মীনা-রাজুকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ আছে নাহিনের। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই তিনি বদলাতে চান তাঁর চারপাশ। | 231,588 |
সুনামগঞ্জ অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩২ | ২৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩৩ | সুনামগঞ্জ,বিশাল বাংলা,সিলেট বিভাগ,অপরাধ,ছাতক | 0 | ছাতকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/612787 | সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মাধবপুর ও খারগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তারেক মিয়া, বুলবুল মিয়া, ইমরুল ইসলাম, মাসুক মিয়া, আবদুর রহিম, কবির মিয়া, লায়েক মিয়া, জুয়েল মিয়া, নাজমুল ইসলাম, আনজব আলী, ইসলাম উদ্দিন ও জাহির আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২২ জনকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে মুঠোফোনের সেটের একটি ব্যাটারির সমস্যা নিয়ে মাধবপুর গ্রামের রেদওয়ান আহমদের সঙ্গে খারগাঁওয়ের দিদার হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গতকাল সকাল ১০টায় দুই গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে দুই পক্ষ ছাতক-সিলেট সড়কে অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া দেয় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ছাতক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ছাতক থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মোবাইল ফোনের একটি ব্যাটারি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এই তুচ্ছ বিষয় নিয়েই পরে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। কোনো পক্ষই থানায় মামলা করেনি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে শুনেছি।’ | 163,217 |
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৪ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৪ | নান্দাইল,ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ | 0 | ঈশ্বরগঞ্জে রেললাইন থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/711808 | ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রেললাইন থেকে গতকাল রোববার এক ব্যক্তির খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।নিহত ব্যক্তির নাম মো. খায়রুল ইসলাম (৫০)। উপজেলার আঠারবাড়ি রেলস্টেশন থেকে কিছুটা দূরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। খায়রুলের বাড়ি নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের বনুড়া গ্রামে। কেন্দুয়ার বঙ্গবাজারে তাঁর একটি মুদি দোকান রয়েছে।রেলস্টেশনের কাছাকাছি এলাকার চারজন বাসিন্দা বলেন, রেললাইনের ওপর লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাঁরা স্টেশনমাস্টার মিনহাজ উদ্দিনকে খবর দেন। পরে কিশোরগঞ্জ জিআরপি থানা থেকে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।খায়রুলের শ্বশুর আবদুর রাজ্জাক বলেন, শনিবার গভীর রাতে খায়রুলের মুঠোফোনে একটি কল আসে। পরে তিনি (খায়রুল) বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে তাঁরা খবর পান, রেললাইনে খায়রুলের লাশ পড়ে রয়েছে।খায়রুলের একাধিক আত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলতি বছরের ২২ জুন নান্দাইলের বনুড়া গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিন (৬০) হত্যা মামলার এক আসামি হাবিবুর রহমানকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিলেন খায়রুল। সে ঘটনা থেকে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ রেললাইনে ফেলে রাখা হতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ।জিআরপি থানার এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। | 183,291 |
মির্জা ফখরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বিএনপি | opinion | মতামত | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪৭ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৩:৩৩ | সাক্ষাৎকার | null | গণতন্ত্রের অধিকার আজ হাতছাড়া | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/704317 | প্রথম আলো: ২৫ বছর আগে ও পরের সাধারণ নির্বাচনী রাজনীতি কেন একই জায়গায়?মির্জা ফখরুল ইসলাম: পুরোনো একটি রাজনৈতিক দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে, তারা ক্ষমতায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের হাতেই গণতন্ত্রের অধিকার হাতছাড়া হল। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে বাস করার অধিকার তারা নষ্ট করল।প্রথম আলো: কিন্তু অভ্যন্তরীণ ত্রুটিবিচ্যুতিটা ঠিক কোথায়? কেন এমনটা ঘটছে বলে মনে হয়? যেমন রাশেদ খান মেনন বলছেন যে বিএনপি তিন জোটের রূপরেখার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।মির্জা ফখরুল: এই অভিযোগ অসত্য। কারণ সবারই জানা যে দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিএনপিই সংসদীয় পদ্ধতির সরকার এনেছিল। আজকের গণতন্ত্রের যে অবস্থা, তা কারা করেছে? মেনন সাহেব তার অংশ নন, সেটা বলতে পারবেন না।প্রথম আলো: বিএনপি কি সুচিন্তিতভাবে পাঁচ দলকে বাদ দিয়ে জামায়াতকে দুজন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি দিয়ে সরকার গড়তে সমর্থন আদায় করেছিল?মির্জা ফখরুল: পাঁচ দল সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোর পরেই কেবল বিএনপি জামায়াতের সমর্থন নিয়েছিল। দায়টা তাদের ওপর বর্তায়, আমাদের ওপর নয়। সুতরাং, রূপরেখা না মানা তাদের একটি মিথ্যা অজুহাত। জনগণের অধিকার হরণ করতে গিয়ে তারা এসব কথা বলে একটা ধূম্রজাল সৃষ্টি করে থাকে। পাঁচ ভাগ মানুষ ভোট দিল না, ১৫৪ আসনে ভোট হলো না, তবু সেসব হালাল করতে রূপরেখা বাধা হয় না। বর্তমানে গণতন্ত্র নিহত ও নির্বাসিত। এরশাদের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়ছিলেন, তাঁরা কি এটা চেয়েছিলেন?প্রথম আলো: রেডিও-টিভির স্বায়ত্তশাসন বিএনপি দেয়নি?মির্জা ফখরুল: বিএনপি মিডিয়াকে খুলে দিয়েছিল। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রাইভেট চ্যানেল করেছে। সিএনএন, বিবিসিকে এনেছে। অসংখ্য পত্রিকা বের হয়েছিল। আজ গণমাধ্যমের কোনো প্রকারের স্বাধীনতা আছে বলে তো আমরা মনে করছি না। কোথাও কোনো স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত করাই তাদের কাজ। সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের মূলোচ্ছেদ চলছে, লুকোছাপা করে নয়, তাঁরা বলছেন উন্নয়ন আগে, গণতন্ত্র পরে। দুর্ভাগ্যজনক যে মিডিয়া একে যেন একদম গুরুত্বই দিচ্ছে না।প্রথম আলো: আপনার যেটা দায়িত্ব ছিল, সেটা না করার কারণে আপনি লজ্জিত বা অনুতপ্ত নন। এখন আপনি আপনার প্রতিপক্ষের কোনো ব্যাপকতর নিয়ম লঙ্ঘনকে হাজির করে নিজের দুর্বলতাকে আড়াল করছেন নাকি?মির্জা ফখরুল: বর্তমানে যেটা চলছে, তাকে কি আপনি কোনোভাবে যথার্থতা দিতে পারবেন? আমাদের সময়ে কিছু কাজ করতে পারিনি বলেই আমি ২০০৮ সালে জয় পাইনি।প্রথম আলো: ওই পরাজয়কে আপনি ষড়যন্ত্র বলেন?মির্জা ফখরুল: দেখুন, রাজনীতিতে ওরকম বাগাড়ম্বর বহু বলা হয়। আমি জোর গলায় বলতে পারি, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য যতটুকু কাজ করেছে, আওয়ামী লীগ তার কাছেও যেতে পারেনি। আমাদের নেতা বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন, এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। আমরা ক্ষমতায় থাকতে মৌলিক অধিকারগুলোর ওপর কখনো হাত দিইনি। খোঁড়া অজুহাতে ইটিভির মালিক ও তাদের সাংবাদিক এখনো জেলে। সাংবাদিকদের মধ্যে যাঁরাই ভিন্নমতাবলম্বী, তাঁরাই হয়রানির কবলে পড়ছেন।প্রথম আলো: আপনারা চুয়াত্তরের কালাকানুনগুলো বাতিল করেননি। বরং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মতো অনেক ভয়ানক কালাকানুন সৃষ্টি করেছেন, যার শিকার আপনারা এখন হচ্ছেন। সরকার তাকে আরও কঠোরতর করেছে। এসব বিষয়গুলো কি নূর হোসেনদের আত্মাহুতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলা যায় কি না?মির্জা ফখরুল: না, মোটেই নয়। আমরা কোনো দিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। গণতন্ত্রকে সমুন্নত করতে আমরা ত্যাগ স্বীকার করে চলেছি। মামলা তাদের নামে নয়, আমাদের নাম থাকলেই চলবে। বড় দুঃখজনক যে এখন আমাদের মিডিয়া ক্ষমতাসীনদের স্খলন তুলে ধরছে না। যাঁরা কিছুটা করতেন, তাঁরাও গতি মন্থর করছেন। করতে বাধ্য হচ্ছেন।প্রথম আলো: সংসদীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়লে মিডিয়াসহ সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়। আপনারা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল ও বিধ্বস্ত।মির্জা ফখরুল: বিএনপি সরকারের দোষত্রুটি, দুর্নীতি মিডিয়া যেভাবে লিখত, আজ কি তা লেখা হচ্ছে? এখন পারছেন না কেন? লুটের সাম্রাজ্য চলছে। পুলিশ যে কাউকে ধরে নিচ্ছে, তারপর পয়সা উশুল করে নিচ্ছে। মিছিল দূরের কথা, আমরা একটা সভা করব, তার জায়গা পর্যন্ত পাই না। প্রতিটি জেলায় বলা আছে, বিএনপিকে সভা করতে দেবে না। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী নিখোঁজ বা গুম হয়ে গেছে। এর মধ্যে চলতি বছরেই ৫৫টি ঘটনা আছে। গত সাত বছরে ক্রসফায়ারে গেছে পাঁচ শতাধিক। থানায় ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করা হচ্ছে।প্রথম আলো: আপনার নিজের জামিন ও মামলা?মির্জা ফখরুল: ২০১২ সালে ইলিয়াস গুম হওয়ার পর থেকে প্রায় ৭৮টি মামলা হয়েছে। ২৪টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন অভিযোগ গঠন ও বিচার শুরুর দিকে যাবে। প্রতিটি জেলায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। একটি মামলায় দুটি বিচার হবে। গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় সহিংসতা ও বিস্ফোরক আইনে দুই ধরনের শাস্তি মিলবে। সেদিন বিস্ফোরক আইনে শিবিরের এক কর্মী ২০ বছরের জেল পেল। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমরা হাইকোর্টে ইনসাফ আশা করি। কখনো জামিন পাই, কখনো পাই না।প্রথম আলো: পতিত স্বৈরাচার এরশাদ ও তাঁর দলের আজকের যে অবস্থান, তার প্রধান দায় রাজনৈতিক সংস্কৃতির, নাকি আওয়ামী লীগের?মির্জা ফখরুল: সংস্কৃতি অবশ্যই, কিন্তু নির্দিষ্টভাবে এর দায় আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে। এরশাদের সঙ্গে তাদের বোঝাপড়া বরাবরের। শেখ হাসিনার দুই মন্ত্রিসভায় আনোয়ার হোসেনের মন্ত্রিত্ব এর বড় প্রমাণ।প্রথম আলো: সমালোচকেরা অবশ্য বলেন, এখানে বিএনপির সঙ্গে মতাদর্শগত ফারাক নেই। পার্থক্য এটাই যে বিএনপি এরশাদকে চেয়ে পায়নি। কারাগার দূতিয়ালি অনেকেরই জানা। তাই মৌলিক পার্থক্য নেই।মির্জা ফখরুল: অবশ্যই আছে, আর এটা হাইপোথেটিক্যাল। আপনার কাছে কতটা প্রমাণ আছে জানি না, তবে বাস্তবতা হলো, জাপা বিএনপিকে সমর্থন দেয়নি। বর্তমানের পুরোপুরি গণতন্ত্রবিহীন ব্যবস্থায় সেই এরশাদই তাদের বড় অংশীদার। আপনারা এদিকে নজর দিন। খেয়াল করে দেখুন, সরকারের নিপীড়নের শিকার কেবল বিএনপি নয়, ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবেই মাহমুদুর রহমান মান্নাকে কারা প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করা হয়েছে।প্রথম আলো: আমরা কোথায় যাচ্ছি?মির্জা ফখরুল: কারাগারে সাংবাদিক কেরিল মার্ফির প্যাশন অব ইসলাম বইটি পড়লাম। লেখক দেখিয়েছেন, মিসরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার টুঁটি চেপে ধরার কারণে যে শূন্যতা তৈরি হলো, সেই পথে উগ্রপন্থার বিস্তার ঘটল। বাংলাদেশের জন্যও একই শঙ্কা। আইএস ইস্যু এখনো আমার কাছে পরিষ্কার নয়, জঙ্গি ইসলামের জায়গা বাংলাদেশ নয়, আবার কোনো মহল কর্তৃক সিরিয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি করার ভয় আমি নাকচ করি না। নির্বাচন থেকে আলাদা করে শুধু এই সংকট মোকাবিলায় বিএনপির নেত্রী সংলাপ চেয়েছেন। জাতীয় ঐক্য চেয়েছেন। আরও বিলম্ব হওয়ার আগেই সরকারের উচিত এতে সাড়া দেওয়া।প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।মির্জা ফখরুল: আপনাকেও ধন্যবাদ।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান আরও পড়ুন:সংসদীয় ব্যবস্থায় ফিরে আসাই সাফল্য রাজনীতির ধারা বদলায়নি | 180,743 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৪ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০২ | ০৪ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০২ | বিনোদন,টেলিভিশন | 0 | টি ভি র প র্দা য় | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/64696 | বাংলাদেশ টেলিভিশনসন্ধ্যা৬-১০ গীতিমাল্য।৬-৩৫ জানতে হবে।৭-০০ মুখোমুখি।৭-২৫ আলাল দুলাল।৮-৪০ কৃষি দিবানিশি।৯-০৫ ত্রিমোহনী।৯-৩০ সোনালী আলো।১০-২৫ এইসব দিনরাত্রি।১১-০০ ঐকমত্যের বাংলাদেশ।এটিএন বাংলাবিকেল৫-১৫ লাইফ অ্যান্ড বিউটি।৬-২০ মারলিন।৮-০০ থার্ড আই।৮-৪০ নীড় খোঁজে গাংচিল।৯-২০ ডিবি।১০-৫৫ নির্বিকার মানুষ।১১-৩০ যে কথা কেউ বলেনি।চ্যানেল আইসন্ধ্যা৬-০০ ট্রাভেল অন।৬-২০ মন ও চোরাগলি।৭-৫০ বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ।৯-৩৫ বধু কেন বোঝে না।১১-৩০ পেরেশান।একুশে টিভিসন্ধ্যা৬-৩০ দেশজুড়ে।৭-৫০ মিউজিক স্টেশন।৮-২০ থ্রি কমরেডস।৯-৩০ চতুরঙ্গ।এনটিভিসন্ধ্যা৬-৪৫ মা আমার মা।৮-১৫ তবুও জীবন।৯-০০ স্টাইল অ্যান্ড ট্রেন্ডস।৯-৪৫ ভালোবাসার চতুষ্কোন।১১-৩০ অ্যাডভেঞ্চার ম্যান।দেশ টিভিসন্ধ্যা৬-০০ কল্পলোকের গল্পকথা।৬-৩০ ওয়ার্ল্ড মিউজিক।৭-৪৫ সিনেমা এক্সপ্রেস।৯-৪৫ রেডিও চকলেট রিলোডেড।১০-৩০ সিক্রেট সার্ভিস।১১-৪৫ সোজা কথা।আরটিভিসন্ধ্যা৭-৩০ ছেলেটি নিরবে চলে গেল।৮-১৫ চোরকাঁটা।৯-০৫ যৈবতী কন্যা।৯-৫০ ব্রাইডল শো।১১-২০ আওয়ার ডেমোক্রেসি।বাংলাভিশনসন্ধ্যা৬-২৫ ফ্রন্ট লাইন।৮-১৫ নিজগৃহে পরবাসী।৯-০৫ রেড সিগন্যাল।১১-২৫ বিজনেস ভিশন।বৈশাখী টিভিসন্ধ্যা৬-২০ আমার চোখে আমি।৮-০০ নিসর্গ।৯-২০ ইয়া-বাবা গেন্দু চোরা।১১-০০ সংঘাত।১১-৩০ ডাবল ফোর টোয়েন্টি।মাছরাঙা টেলিভিশনরাত৮-০০ বিল্টু মামা।৮-৪০ ক্ষণিকালয়।৯-২০ বাংলাদেশ ফার্স্ট।১১-০০ পিঞ্জর।১১-৩০ সাঁইজীর বারামখানা।চ্যানেল নাইনসন্ধ্যা৬-৩০ আপন আপন খেলা।৭-৪০ হাতের কাছে পথের খাবার।৮-২৫ চন্দ্রাবতী।৯-১০ সেলিম সোলাইমানের একদিন।১০-২০ গেম।১১-০০ মনের রঙে রাঙ্গাব।জি টিভি (গাজী টিভি)রাত৮-১০ রংতুলি।৮-৫৫ ভালোবাসি গান।৯-৩৫ নায়িকা সংবাদ।১১-০৫ আপনি কিছু বলুন।এশিয়ান টিভিসন্ধ্যা৬-৪০ গোল্ডেন আওয়ার।৭-৪০ বড় পর্দার গান।৮-২০ নাটাইপাড়া বনাম ঘুড্ডিপাড়া৯-০০ জীবন সংসার।৯-৪০ সেকেন্ড ইনিংস।১০-২০ বলিউড টলিউড।১১-০০ এশিয়ান মিউজিক।এসএ টিভিসন্ধ্যা৬-৩০ সন্ধ্যার মেঘমালা।৮-০০ চায়ের কাপে ঝড়।৮-৩০ আগুনপোকা।৯-০০ শাইন অন।৯-৩০ ময়ুরাক্ষী তুমি দিলে।১১-০০ কর্পোরেট আইকন।11-30 লেট এডিশন। | 25,431 |
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৫৬ | ২৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৫৮ | ঠাকুরগাঁও,রংপুর,বিশাল বাংলা | 0 | খননের বছর না ঘুরতেই টাঙ্গনে আবার হালচাষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/84598 | শুষ্ক মৌসুমে পানিপ্রবাহ ধরে রাখতে ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙ্গন নদের খননকাজ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শেষ হয়। কিন্তু ঠিকাদার যেনতেনভাবে কাজ শেষ করায় বছর না ঘুরতেই আবার নদে বালু জমেছে। নদের বুকে আবার চাষাবাদ শুরু করেছে স্থানীয় লোকজন।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে সরকার দেশের মরা নদ-নদীগুলোর জন্য খনন প্রকল্প হাতে নেয়। এরই অংশ হিসেবে পাউবো ‘ঠাকুরগাঁও শহর রক্ষা প্রকল্প’ নামে সদর উপজেলার টাঙ্গন ব্যারাজ থেকে মাতৃগাঁও পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার নদ খননের প্রস্তাব দেয়। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি প্রথম পর্যায়ে এক হাজার ১৫০ মিটার খননের সুপারিশ করে। ব্যয় ধরা হয় ৮০ লাখ টাকা।ঠাকুরগাঁওয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঐশী এন্টারপ্রাইজ এই কাজ পায়। ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল খননকাজের উদ্বোধন করা হয়। দরপত্রে নদের তলদেশে ১০ মিটার প্রস্থ, ওপরে ২৫ মিটার প্রস্থ ও তিন মিটার গভীর করে কাটার কথা। গত জানুয়ারিতে কাজ শেষ হয়।এদিকে খননকাজ শেষ হওয়ার আগে গত ডিসেম্বরে খননশ্রমিক দলের নেতা শহিদুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারের নির্দেশ অনুযায়ী তলদেশে সাত থেকে আট এবং ওপরে ১২ থেকে ১৫ মিটার প্রস্থ এবং এক মিটার গভীর করে নদ খনন করা হয়েছে।২৪ নভেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, জলেশ্বরীতলা মহল্লায় সেতুর নিচে নদের বুকে হালচাষ করছেন মঞ্জুরুল হক নামের এক ব্যক্তি। পাশেই জমি তৈরি করছেন মোহাম্মদ আলম নামের আরেকজন।মঞ্জুরুল জানান, গত বছর নদ খননের জন্য তিনি আবাদ করতে পারেননি। এ বছর আবার চর জাগায় সেখানে গম চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন।ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেন বলেন, নদ খননের জন্য কাজ হয়নি। বিলের টাকা আত্মসাতের জন্য ওই খনন হয়েছিল। তাই বছর না ঘুরতেই যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। ঠাকুরগাঁও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নৈমুল হক বলেন, ‘গত বর্ষায় বালু ও পলি এসে নদে পড়েছে। এতে হয়তো নদ কিছুটা ভরাট হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় ব্যক্তিরা সেখানে চাষাবাদ করছে কি না, আমার জানা নেই।’ | 31,369 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৯ মে ২০১৮, ১০:১৫ | ০৯ মে ২০১৮, ১২:৪৭ | ফুটবল,মোহাম্মদ সালাহ | null | হঠাৎ করেই ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন সালাহ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1485121 | গোল করায় মৌসুমজুড়েই মেসি-রোনালদোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সালাহ। কিন্তু এখন মৌসুমের শেষ অঙ্কে এসে সালাহ যেন হঠাৎ করেই ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন। টানা তিন ম্যাচে গোলের মুখ দেখেননি। খেলেছেনও বাজে...লিভারপুল এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। দলটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলেও তিনে। ইংলিশ ক্লাবটির এই দারুণ পারফরম্যান্সে মোহাম্মদ সালাহর অবদান যে–কারও চেয়ে বেশি। দলটির হয়ে এবার অভিষেক মৌসুমেই চল্লিশের বেশি গোল করেছেন। কিন্তু লিভারপুলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়েই কি সালাহ ফিকে হতে শুরু করলেন?গোল করায় মৌসুমজুড়েই মেসি-রোনালদোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সালাহ। কিন্তু এখন মৌসুমের শেষ অঙ্কে এসে সালাহ যেন হঠাৎ করেই ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে তিনি সর্বশেষ গোল করেছিলেন। কিন্তু মিসরীয় ফরোয়ার্ড এরপর টানা তিন ম্যাচে গোলের মুখ দেখেননি। তা, কয়েক ম্যাচে গোল না পেতেই পারেন। কিন্তু লিভারপুলের জন্য দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো, এই তিন ম্যাচে সালাহ তাঁর নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।রোমার বিপক্ষে প্রথম লেগের সেই ম্যাচের পর লিগে স্টোক সিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে লিভারপুল। এই ম্যাচে সালাহ মৌসুমের অন্যতম বাজে মিস করেন। গোলপোস্টের সামনে স্টোক গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে রাখতে পারেননি। অথচ এই একই ফরোয়ার্ড কিনা মৌসুমজুড়ে গোলের পাল্লা দিয়েছেন মেসি-রোনালদোর সঙ্গে!চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগেও গোল পাননি সালাহ। খুব যে ভালো খেলেছেন, সেটাও নয়। সাদিও মানে আর রবার্তো ফিরমিনো মিলে লিভারপুলকে তুলেছেন ফাইনালে। এরপর রোববার চেলসির বিপক্ষে লিভারপুলের ১-০ গোলের হারেও ঠিক পুরোনো ছন্দে দেখা যায়নি ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। বরং এই ম্যাচে রেফারিকে বোকা বানাতে গিয়ে সমালোচনা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন।চেলসি ডিফেন্ডার গ্যারি কাহিলের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পরিষ্কার ‘ডাইভ’ দেন সালাহ। রেফারির চোখ এড়ায়নি। পরিণামে মৌসুমের প্রথম কার্ড দেখতে হয়েছে সালাহকে। আর সংবাদমাধ্যমের মতে, সালাহর ‘ডাইভ’টি এই মৌসুমের অন্যতম বাজে। এই তিন ম্যাচে সালাহর ফর্ম হারিয়ে ফেলার ইঙ্গিতটা কিন্তু লিভারপুলের জন্য সত্যি দুশ্চিন্তার।প্রথমত, সামনেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। ২৬ মে কিয়েভে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। ১৩ বছর পর লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্নপূরণের এই ম্যাচে সালাহই তো ভরসা। কিন্তু তার আগে সালাহ যে ফর্ম দেখাচ্ছেন, সেটা তো অ্যানফিল্ডের ক্লাবটির জন্য অশনিসংকেত।দ্বিতীয়ত, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে শীর্ষ চারের সমীকরণ। স্টোক সিটির বিপক্ষে সেই ম্যাচে সালাহ নিশ্চিত গোলটা মিস না করলে লিভারপুলকে এই সমীকরণের জালে পড়তে হতো না। এমনও হতে পারে, এখন টেবিলের তিনে থাকলেও মৌসুম শেষে লিভারপুলকে দেখা যেতে পারে শীর্ষ চারের বাইরে!৯৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ আগেই নিশ্চিত করা ম্যানচেস্টার সিটি কারও ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই। ৩৬ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর ৩৭ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় লিভারপুল। তাঁদের চেয়ে ১ ম্যাচ কম খেলা টটেনহাম ৭১ পয়েন্ট নিয়ে চারে। পঞ্চম চেলসির সংগ্রহ ৩৬ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ লিভারপুল তাঁদের শেষ ম্যাচে ব্রাইটনকে হারাতে না পারলে শীর্ষ চারের বাইরে ছিটকে পড়তে পারে। কারণ, তখন টটেনহাম ও চেলসি তাঁদের শেষ দুই ম্যাচ জিতলে লিভারপুলকে টপকে যথাক্রমে তিনে ও চারে উঠে যাবে।ব্রাইটনের বিপক্ষে তাই সালাহকে জ্বলে উঠতেই হবে। নইলে এমনও হতে পারে, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে না পারলে লিভারপুলকে আগামী মৌসুমে দেখা যাবে না এই টুর্নামেন্টে! | 363,404 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০০:৪৮ | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০০:৫৫ | জীবনধারা,পরামর্শ | 0 | দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ নয় | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/488914 | কর্মস্থলে যাঁরা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন, তাঁরা হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, মেজাজ খিটমিটে হয়ে যাওয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। এই সতর্কবার্তা যুক্তরাজ্যের দুটি দাতব্য সংগঠন গেট ব্রিটেন স্ট্যান্ডিং ও ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের (বিএইচএফ)। এ জন্য কর্মস্থলে কিছুক্ষণ পর পর কয়েক মিনিটের জন্য নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা, এমনকি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৈঠক ও কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চেয়ারে বসে কাজ করা মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি। একনাগাড়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে বিপাক-প্রক্রিয়া মন্থর হয়ে পড়ে। রক্তে চিনির স্তর, রক্তচাপ ও চর্বি নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।বিবিসি। | 126,962 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ জুন ২০১৫, ০২:০৮ | ০২ জুন ২০১৫, ০২:১০ | রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,রাজনীতি,খবর | 0 | কাউন্সিলর নিজাম উল আযীম মেয়রের দায়িত্ব পেলেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/543688 | রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পেলেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজাম উল আযীম। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি রাজশাহী সিটি করপোরেশনে এসে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত রোববার বিকেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সরোজ কুমার নাথ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্র চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, যেহেতু রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ৪১, ০৮, ৩৭, ৩৮ নম্বর মামলার এজাহার রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর উপধারা ১ অনুযায়ী গত ৭ মে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ওই আইনের ১২ ধারার উপধারা ৩ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত হলে আদেশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে মেয়রের প্যানেল মেয়রদের জ্যেষ্ঠ সদস্যের কাছে তাঁর দায়িত্ব অর্পণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তিনি প্যানেল মেয়রের কোনো সদস্যের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি, তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র রয়েছে এবং তিনি সিটি করপোরেশনে উপস্থিত হচ্ছেন না। তাই সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আইনের ২০০৯-এর ধারা ১০৫-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজাম উল আযীমকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সব ধরনের আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ১ নম্বর প্যানেল মেয়র আনোয়ারুল আমিন আযম বর্তমানে কারাগারে। ২ নম্বর প্যানেল মেয়র নূরুজ্জামান মামলার আসামি হয়ে পলাতক। ৩ নম্বর প্যানেল মেয়র নূরুন্নাহার বেগম। তিনি সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত। সাধারণত নির্বাচিত মেয়রের অনুপস্থিতিতে তাঁরই দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল। তিনি বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছাও ছিল। কিন্তু তাঁকে নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ সমস্যা সমাধানের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তিনজন কাউন্সিলরের নাম দিয়ে নতুন একটি প্যানেলের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত এই প্যানেলের ১ নম্বরে ছিলেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুজ্জামান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজাম উল আযীম ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচিত সদস্য মুসলিমা বেগম বেলী। তাঁদের মধ্যে প্রথম দুজন আওয়ামী লীগের অনুসারী এবং তৃতীয়জন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। | 144,049 |
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মার্চ ২০১৪, ০১:১৮ | ০৭ মার্চ ২০১৪, ০১:১৯ | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা বিভাগ,মহানগর | 0 | শিক্ষার্থীদের হলমুখী মিছিলে বাধা, ১৬ মার্চ মহাসমাবেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/162760 | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বজলুর রহমান হল উদ্ধারে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল ওই হলের স্থানে স্থাপিত বিদ্যালয়ের ফটকে হলের ব্যানার টানালেও কয়েক মিনিট পরই এলাকাবাসী তা খুলে পুড়িয়ে দেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া ১০টি হল উদ্ধার, নতুন হল নির্মাণ ও ক্যাম্পাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট শাখা স্থানান্তরসহ বিভিন্ন দাবিতে ১৬ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মহাসমাবেশ করবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল কর্মসূচি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘোষণা দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বেদখল হওয়া হল উদ্ধার সংগ্রাম পরিষদ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও হল উদ্ধার সংগ্রাম পরিষদ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে বজলুর রহমান হল উদ্ধারের জন্য মালিটোলার উদ্দেশে রওনা হন।মালিটোলায় বজলুর রহমান হলের স্থানে ২০০৬ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সিটি করপোরেশন। মিছিলটি রায়সাহেব বাজার মোড়ের কাছে পৌঁছে সড়কে পুলিশের প্রতিবন্ধকতা ও বাধায় আর এগোতে পারেনি। | 56,537 |
সাইদা হামিদ | opinion | মতামত | ২৭ জুলাই ২০১৪, ০০:০২ | ২৭ জুলাই ২০১৪, ০০:০২ | মতামত,লেখকের কলাম,বাংলাদেশ | 0 | বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/278014 | আমি ১১ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছিলাম। ২০০৩ সালে আমি সর্বশেষ দেশে এসেছিলাম, সে সময় উইমেন্স ইনিশিয়েটিভ ফর পিস ইন সাউথ এশিয়া (ডব্লিউআইপিএসএ) কর্মসূচির আওতায় কলকাতা থেকে ৪৩ জন নারীর সঙ্গে এখানে এসেছিলাম।এবার এমন একদল নারী-পুরুষের সঙ্গে দেশে এসেছি, যারা সারা দুনিয়ায় ক্ষুধা নিবারণের পণ নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমি দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টে (টিএইচপি) কাজ শুরু করি মাত্র দুই বছর আগে। কিন্তু আমার সঙ্গে এই সফরে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা এই লক্ষ্যে কাজ করছেন ২৭ বছর ধরে।এ গল্প অবশ্য বাংলাদেশ নিয়ে, এই দেশটি আমাদের এবারের সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য। এই গল্পে একজন মা ও মেয়ে আছেন। আমার কাছে মনে হয়, এটাই এই গল্পের সবচেয়ে অসাধারণ ও মর্মভেদী অংশ। শেরি স্ট্রমবার্গ তাঁর মেয়ে সোফিকে নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে এসেছেন শুধু একটি কারণে, ক্ষুধা কী জিনিস সেটা তাঁর মেয়েকে দেখাতে। এই শেরি টিএইচপির গ্লোবাল বোর্ডের সদস্য ও নিউইয়র্কের সিটি ব্যাংক সিটি শেয়ার সার্ভিসের বৈশ্বিক প্রধান। সোফি মেয়েটার চুল বেশ লম্বা, তাঁর পরনের উজ্জ্বল রঙের লেহেঙ্গা ও ফিতার মতো দোপাট্টায় তাঁকে আমাদের দলে কাদম্বরীর মতো লাগত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাদম্বরী আমি পড়েছি, কিন্তু খুলনায় গিয়ে এই চমৎকার কদম ফুলটি দেখার আগ পর্যন্ত আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি, এটা আসলে কী বস্তু। আমার কাছে এটা ছিল সোফি। পুরো সফরে তিনি রাতের বেলা জার্নাল লিখতেন। প্রথমে ভারত ও পরে বাংলাদেশবিষয়ক তাঁর অভিব্যক্তি তিনি রেকর্ড করে রেখেছেন। রাজস্থানের মরুভূমির শক্তিমান নারীরা তাঁদের গ্রামের পরিবর্তনের দূত হিসেবে কাজ করেন, মেয়েটি এই বিস্ময়ের কথা যেমন লিখেছেন, তেমনি খুলনার যে সাহসী নারীরা গ্রামের নেতা ও সঞ্জীবনী শক্তি হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের কথাও তিনি লিখেছেন। মেয়েটি সফরের বিভিন্ন স্থানে নানা রকম খাদ্যের স্বাদ পেয়েছেন, মেয়েটি সে কথা উৎসাহ নিয়ে লিখেছেন। আবার রাস্তার মোড়ে গাড়ি থামলে যে শিশুরা গাড়ির জানালায় এসে ভিক্ষা চাইত, তাদের কথাও তিনি দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বর্ণনা করেছেন। সোফি কাব্যিক ঢঙে এসব ঘটনার বিবরণ লিখেছেন।এই মেয়েটি খুব সাধাসিধেভাবে নিজের পরিচয় দিতেন, ‘আমি সোফি, নিউইয়র্ক থেকে এসেছি, উনি আমার মা।’ এই মেয়েটি আমার কাছে ক্ষুধামুক্ত বিশ্বের প্রতীক। বিশ্বের সবচেয়ে সচ্ছল এলাকার মেয়ে ক্ষুধা দেখে কষ্ট পেলে বুঝতে হবে, আমাদের আশার কোনো কমতি নেই—দুঃখের বৈতরণি পার হতে আশাই একমাত্র ভেলা।আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মানুষেরা একটি বেসরকারি বাসে চেপে ছয় ঘণ্টার ভ্রমণ করে খুলনায় যাই। উদ্দেশ্য হচ্ছে, হাঙ্গার প্রজেক্ট কেমন কাজ করছে তা দেখা। বদিউল আলম মজুমদারের আতিথ্যে আমরা সেখানে যাই। নিজের কাজে তিনি নিরলস। আমাদের দলে নিউইয়র্ক, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, মোজাম্বিক ও ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন।আমাদের দলে নানা বয়সী নারী-পুরুষ ছিলেন। ১১ বছরের সোফি থেকে ৭৪ বছর বয়সের মোহিনী গিরি—ভারতের ন্যাশনাল অব উইমেনের সাবেক সভানেত্রী। সুসজ্জিত মহাসড়ক ধরে আমাদের বাস এগিয়ে চলে। এটা ঢাকা থেকে শুরু হয়ে শ্যামল গ্রামগুলোর ভেতর দিয়ে গেছে। পথে আমাদের পদ্মা নদীও পার হয়ে যেতে হয়। এ নদীর অপর পারেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। ত্রিপুরার সাব্রুম থেকে আমি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দেখেছি। আখাউড়া যৌথ চেকপোস্ট থেকেও আমি আগরতলা সীমান্ত দেখেছি। সীমানা ও সীমান্ত রাজনীতিতে পূত–পবিত্র ব্যাপার হলেও জনগণের কাছে তা বিস্তৃত ধানের খেত ছাড়া কিছু নয়, কোনো এক পর্যায়ে গিয়ে সেটা আরেকটি দেশ হয়ে যায়।শেষ পর্যন্ত আমরা বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছালাম। সেখানে বাস থেকে নেমে ছোট ভ্যানে করে গ্রামের সরু পথ ধরে আমরা এগিয়ে চললাম। বৈঠকের নির্দিষ্ট স্থান বাশুরাবাদে গিয়ে পৌঁছালাম। একটি হলে বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল, শতাধিক নারী-পুরুষ সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নারীনেত্রী সুচিত্রা বসাক বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এবং নারী শিশুর শিক্ষাবিষয়ক প্রচারণার ব্যাপারে আমাদের অবহিত করলেন। তারপর ১৬ বছর বয়সী সপ্রতিভ কিশোরী জুলি বলল, সে কীভাবে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে তার বড়দের মতামত গঠনের চেষ্টা করেছে। সেখানকার প্রধান মনোরঞ্জন, ইউএনও শান্তময় চাকমা ও অ্যানিমেটর সুপ্রিয়া গাইন বললেন, তাঁরা জন্মনিবন্ধন, উপার্জন বৃদ্ধিবিষয়ক এবং যৌতুক ও সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন। সেখান থেকে আমরা বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদে গেলাম, সেখানেও এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো। দেখলাম, অধিকাংশ নারী সিঁদুর ও বিন্দি পরিহিত। শুধু এক বা দুজন নারী হিজাব পরিহিত। দুজন তরুণী নিরাপত্তারক্ষী আমাকে বলল, এটা মূলত হিন্দু–অধ্যুষিত একটি গ্রাম, তবে সেখানে হিন্দু ও মুসলমানেরা শান্তিতে বসবাস করে। এই মেয়ে দুটো মুসলমান।সফরে আমরা জানতে পারলাম, বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন পরিষদে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, বাশুরাবাদ ও হেতালবুনিয়ার মানুষজন একত্র হবেন। বাগেরহাটের বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদে নারী নেতারা, যুবনেতা ও ওয়ার্ড অ্যাকশন দলের সদস্যরা সত্যিকার অর্থেই উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা শুধু ব্রশিওরের ছবির জন্য পোজ দিতে আসেননি। আমাদের সবার কাছে এগুলো ছিল অপরিচিত নাম, আমাদের সফরসূচিতে যে শব্দগুলো লেখা ছিল। হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের তিনটি স্তম্ভ আমাদের সামনে বাস্তব হয়ে ধরা দিল। প্রথমত, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের জন্য তৃণমূলে জনগণকে একত্র করা, নারীরা পরিবর্তনের দূত এবং স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারি গড়ে তোলা।আমরা দেখলাম, কীভাবে প্রশিক্ষণ ও উদ্দীপনা জোগানোর মাধ্যমে টিএইচপি তৃণমূলে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষকে একত্র করেছে। এই কাজে যারা অংশ নিয়েছে, তাদের ৪০ শতাংশই নারী। দ্বিতীয় স্তম্ভ, অর্থাৎ পরিবর্তনের দূত হিসেবে নারী—এই কৌশলটি পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়ই কাজে দিয়েছে। ভারত সরকারের ১১তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রথমবারের মতো ‘নারীদের কর্মকাণ্ডের’ কথা বলা হয়েছে, ১২তম পরিকল্পনায় সেটাকে আরও পোক্ত করা হয়েছে। টিএইচপি প্রায় ছয় হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকশিত করেছে, তাঁরা এখন স্থানীয় সরকারের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। তৃতীয় ও সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ হচ্ছে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্ব। বেতাগী ও বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে আমাদের অংশীদারি সফল হয়েছে। দুজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে আমি অভিভূত।তৃণমূলের পরিবর্তন ঘটাতে হলে অনেক আশা ও ধৈর্য প্রয়োজন। টিএইচপি বাংলাদেশের কার্যক্রম দেখে জালালউদ্দিন রুমির কয়েকটি চরণের কথা মনে পড়ে গেল:বহমান ও ধীর পদক্ষেপে আমরা কাজ করতে শিখিখাঁড়ির নিস্তরঙ্গ পরিষ্কার পানির মতোএ ধারা থামে না, এ ধারা বয়ে যায় আরপথ খুঁজে নেয়ছোট ছোট অসংখ্য পদক্ষেপে, স্বেচ্ছায়আর তাতেই আমরা আশার খোরাক পেয়ে যাই।আমি বাংলাদেশে কাটানো সেই তিনটি দিনের কথা ভাবছি। ঢাকা শহরে বড় বড় বিলবোর্ডে মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন আর নারী-পুরুষের বাহারি পোশাকের বিজ্ঞাপন দেখে ঢাকাকে দক্ষিণ এশিয়ার আর দশটি শহরের মতোই মনে হয়। কিন্তু খুলনার পথে আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজের যে সমারোহ দেখলাম, তা আমি আর কোথাও দেখিনি। অন্যদিকে সুন্দরবন দেখার লোভ আমার কাছে অধরা স্বপ্নের মতোই রয়ে গেল, এ বনটির বাংলাদেশ অংশ ভারতের অংশের চেয়ে সুন্দর।এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলেই মনে হয়। এমনকি আইএমআর এবং এমএমআর হ্রাসে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে বাংলাদেশ। ইউনিয়ন পরিষদ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা টিএইচপিতে কাজ করতে গিয়ে ইতিবাচক ফল বয়ে এনেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভালোবাসার এই দেশের ভবিষ্যৎ ভালোই বোধ হচ্ছে, দেশের সাধারণ মানুষের সচেতনতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।সারা দুনিয়ার নারী-পুরুষদের নিয়েই এই টিএইচপি গঠিত। তৃণমূলের ক্ষমতায়নে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক কাজগুলো সরকারের সঙ্গে মিলেমিশেই করা হয়, এতে উভয়ই লাভবান হয়। এটা সরকারের সমান্তরাল কিছু নয়। সারা দুনিয়ার মানুষ এ গ্রহের সবচেয়ে গরিব ও দুর্বল মানুষদের জন্য চিন্তা করছেন, এটা ভাবতেই আমার চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—তাঁরা নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে এসব জায়গায় এসে কাজ করছেন, যেটা তাঁদের জন্য নতুন দুনিয়াই বটে।সফর শেষে আমি ভারতে ফিরে গেলাম। সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের আলো আর সোফির হাতে লেখা জার্নালের মধ্যে যে আশা প্রোথিত হয়ে আছে, সেই আশা।ড. সাইদা হামিদ: ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য। | 81,257 |
অমর সাহা, কলকাতা | international | আন্তর্জাতিক | ০৫ মে ২০১৮, ১১:৫৭ | ০৫ মে ২০১৮, ১৬:০২ | ভারত,নির্বাচন | null | পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো | http://www.prothom-alo.com/international/article/1482741 | পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের অনিশ্চয়তার রেশ এখনো কাটেনি। চলছে হাইকোর্টে মামলা। গতকাল শুক্রবার পঞ্চায়েতের নির্বাচনের তারিখ এবং নির্বাচনে ভোটার ও ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির কথা ছিল। তবে মামলার শুনানি পিছিয়ে মঙ্গলবার করা হয়েছে।গতকাল এ নিয়ে আরও একটি মামলার শুনানি ছিল ডিভিশন বেঞ্চে। এসব মামলার শুনানি শেষে মঙ্গলবার ৮ মে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি করবেন।নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য একদিন সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে কংগ্রেসের দায়ের করা একটি মামলায় গতকাল বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণ দেন। তাতে বলা হয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি করেছে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন।বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার বলেছেন, ‘আদালত ভোট প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না। কিন্তু কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সাংবিধানিক সংস্থা। তাই কমিশনের ভূমিকা স্বচ্ছ হওয়া উচিত। সংবিধানকে যাঁরা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন তাঁদের অনেক দায়িত্ব। তাঁদের কার্যকলাপ নিয়ে কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে তাঁদের। কিন্তু কমিশন নিজেই জটিলতা তৈরি করেছে। কমিশনের কাজের প্রক্রিয়াই তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কমিশনের এবার সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।’বিচারপতি আরও বলেছেন, ‘কমিশনের কাজের জন্যই এর আগে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই তিন দফার ভোট কমিয়ে এক দফায় আনা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য একদিন সময় বাড়ানো হয়েছিল।’এর আগে একক বেঞ্চের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারও বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো ‘হোম ওয়ার্ক’ করেনি। বেঞ্চ এ কথা বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আদালতের এ পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করতে পারবে না বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নিয়ে দায়েরকৃত মামলার। শুনানির পর জানা যাবে পঞ্চায়েত ভোট কি ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে, নাকি তারিখ আবার পেছাবে। এ ছাড়া নির্বাচনে নিরাপত্তার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে আনা হবে অন্য ৫ রাজ্য থেকে পুলিশ নাকি বিরোধী দলের দাবিমত আনা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী?হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য সরকার নির্বচন কমিশনে ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দিয়েছে গতকাল। তাতে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট হবে রাজ্যের পুলিশ দিয়েই। রাজ্যে রয়েছে ৪৬ হাজার পুলিশ আর ১২ হাজার লাঠিধারী পুলিশ। আর ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৪৮ হাজার ৬৫০ টি। প্রয়োজনের তুলনায় এই সংখ্যা কম হওয়ায় রাজ্য সরকার বনদপ্তর, আবগারি দপ্তর, কারা দপ্তর থেকে ২ হাজার পুলিশ আনছেন নির্বাচনী কাজে।গত ৩১ মার্চ তড়িঘড়ি করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই রমজানের আগে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে একতরফা পঞ্চায়েত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তাতে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার তারিখ দেওয়া হয় ২ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল। আর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় ১, ৩ ও ৫ মে।ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আসন্ন পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩২.২ শতাংশ আসনে জিতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জেলা পরিষদের ২০৩টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৩ হাজার ৫৯টি আসন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ হাজার ৮১৪টি আসন। শতাংশের হিসাবে তা ৩২.২ শতাংশ। এত আসনে জিতেও এখন স্বস্তিতে নেই শাসক দল তৃণমূল। কারণ, দলের প্রতিটি আসনে একজন করে প্রার্থী থাকলেও এখনো দলেরই বাড়তি প্রার্থী রয়েছেন ৪ হাজার ৩০২ জন। গত শনিবার দল এই অতিরিক্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলেও ওই সব প্রার্থী বরং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে নির্বাচনের ময়দানে রয়ে গেছেন।এবার রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৮ হাজার ৬৫০টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ২১৭টি আসন এবং জেলা পরিষদের ৮২৫টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। | 362,990 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৪৪ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:২১ | রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,জাতীয় পার্টি,এরশাদ | null | ৩০০ আসনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে জাপা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1561416 | জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশের মানুষ দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। সব ধরনের পরিস্থিতিতেই জাতীয় পার্টি সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। তাই জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি ২৭ বছর ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মাঝে জাতীয় পার্টির ব্যাপক সমর্থন আছে। তাই শক্তি প্রদর্শনের জনই ২০ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জি এম কাদের।আজ সোমবার সকালে জাতীয় পার্টির মহানগর উত্তরের যৌথ সভায় এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর গুলশান ১ সার্কেলের ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারের মিলনায়তনে এর আয়োজন হয়। এখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জি এম কাদের।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা লাঙলকেই দেখতে চায়। কারণ দেশের মানুষ জানে উন্নয়ন, উৎপাদন এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য জাতীয় পার্টির কোনো বিকল্প নেই। রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতি দেশের মানুষের আস্থা আছে, তাই নির্বাচনের আগে তাদের সেই বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করতে হবে। এ জন্য ২০ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির ৯ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশের মানুষ এখনো ভোলেনি, তারা এরশাদের নেতৃত্বেই দেশ পরিচালনার ভার দেখতে চায়।জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, গেল ২৭ বছর দুটি দল দেশের রাজনীতিতে যে সংশয় এবং অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, তা কেবল জাতীয় পার্টিই দূর করতে পারবে। জাতীয় পার্টিই এখন দেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। সাধারণ মানুষের ভরসা এখন শুধুই জাতীয় পার্টি।যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, হাবিবুল্লাহ বেলালী, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। | 379,617 |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৪৯ | ১২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৪৯ | বিশাল বাংলা | 0 | নাসিরনগরে মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/737736 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হজরত শাহজালাল (রহ.) ‘মসজিদ ও কওমি মাদ্রাসা’ কমপ্লেক্স খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।গতকাল সোমবার বেলা একটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব এলাকায় জেলা কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে মাদ্রাসার প্রায় ২০০ ছাত্র-শিক্ষক অংশ নেন।মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা আবদুর রহিম কাসেমীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক খালেদ মো. মোশারফের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা কওমি পরিষদের সভাপতি এমরান হোসাইন প্রমুখ।সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রশাসন ওই মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ওই মসজিদ ও মাদ্রাসা খুলে দেওয়া না হলে হরতাল, ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করা হবে।হজরত শাহজালাল (রহ.) মসজিদ ও কওমি মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মাজহারুল হক কাসেমী বলেন, গত রমজানের পর থেকে একজন হাফেজ ও ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হেফজখানা চালু করা হয়। ৬ জানুয়ারি পল্লী বিদ্যুৎ থেকে লোকজন গিয়ে মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। মাদ্রাসায় ছাত্র–শিক্ষক থাকতে পারবে না, থাকলে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুমকি দেয় পুলিশ। এরপর থেকেই সব বন্ধ রয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ বলেন, মসজিদ কেউ বন্ধ করেনি। মসজিদ খোলাই রয়েছে। তবে ওইখানে স্থানীয় লোকজন তেমন একটা নামাজ পড়তে যান না বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন। | 191,635 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ মে ২০১৭, ০০:৪৬ | ২৩ মে ২০১৭, ০২:২৩ | গাজীপুর,রাজনীতি | 0 | মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার প্রতিবাদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1189581 | বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় দুদকের মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান ওরফে এলিসের নেতৃত্বে জেলা জজকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ‘সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের’ দাবিতে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এরপর নগরীর জোড়পুকুরপাড় এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এতে বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।মেয়র এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত রোববার দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা করেন। এ নিয়ে মান্নানের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা হলো। | 319,135 |
কামনাশীষ শেখর, টাঙ্গাইল | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৪২ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৪৮ | -1 | null | জন্মদিনেই বাড়ি ফিরলেন প্রাণহীন উত্তম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1556086 | পুলিশ কর্মকর্তা ছেলে ভীষণ ব্যস্ত। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) ছেলের জন্মদিন। বাড়ি আসতে পারবে না। ছেলের পছন্দ পায়েস। তাই ঢাকায় গিয়েই ছেলেকে পায়েস রান্না করে খাওয়ানোর জন্য পাঁচ লিটার দুধ কেনেন মা। রোববার বিকেলে সেই দুধ যখন জ্বাল করছিলেন, তখনই খবর আসে তাঁর আদরের ছেলে আর নেই। বাসের চাপায় সব শেষ হয়ে গেছে। ব্যস্ত ছেলে জন্মদিনে বাড়ি এলেন ঠিকই, তবে প্রাণহীন নিথর।এ মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না উত্তম সরকারের মা কামনা সরকার। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন, আহাজারি করছেন। ওদিকে স্বামীকে হারিয়ে দুই মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্ত্রী তমা চৌধুরী। কারও কোনো সান্ত্বনাই তাঁর কান্না থামাতে পারছে না। সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সদরের বেতডোবা এলাকায় তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। শুধু স্বজনেরা নন, উত্তমের মৃত্যুতে কাঁদছে যেন পুরো গ্রাম। গতকাল রোববার ঢাকায় ঈগল পরিবহনের জব্দ করা একটি বাসের চাপায় নিহত হন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম সরকার।পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের ভজন সরকারের ছেলে উত্তম লেখাপড়ায় ছিলেন যেমন মেধাবী, তেমনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তাঁর সরব পদচারণ। গিটার, তবলা, বাঁশি যেমন বাজাতেন, তেমনি ক্রিকেটের মাঠেও ছিলেন কালিহাতীর সেরা। কালিহাতী আরএস হাইস্কুল থেকে এসএসসি, কালিহাতী কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর উত্তম ভর্তি হন ভারতের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ২০০৮ সালে মার্কেটিংয়ে বিবিএ শেষ করে দেশে আসেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগ দেন। পদোন্নতি পেয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।উত্তম সরকারের বাড়ির সামনে যেতেই শোনা যায় তাঁর স্ত্রীর কান্নার শব্দ। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে দুই মাসের শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে তমা চৌধুরী বিলাপ করছেন। স্বজন ও প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিতে এসে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না। তমা বিলাপ করছিলেন, ‘আমার স্বামী কী এমন অপরাধ করেছিল যে তাঁর এমন অবস্থা হলো। কে দেখবে শিশুকন্যাকে।’পাশের ঘরে উত্তমের মা কামনা সরকার বিছানায় শুয়ে আছেন। তাঁকে ঘিরে আছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। উত্তমের বড় ভাইয়ের স্ত্রী জানান, ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তাঁর মা। অধিক শোকে তিনি কান্নার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন।উত্তমের বড় ভাই দীপংকর সরকার বলেন, ‘উত্তম পেশার প্রতি ছিল খুবই আন্তরিক। রাত-দিন সে কাজ করত।’ ওই এলাকার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘উত্তমের মতো মেধাবী ও প্রতিভাবান ছেলে এই এলাকায় আর নেই। তার মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। তাঁকে শেষবারের মতো দেখার জন্য অপেক্ষা করছে শত শত মানুষ।’আরও পড়ুন:জব্দ বাসের নিচে পড়ে পুলিশ কর্মকর্তা নিহত | 375,506 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ মে ২০১৫, ০২:০৫ | ২৩ মে ২০১৫, ০২:০৬ | শিবগঞ্জ,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | আজ সম্মেলন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/534994 | প্রায় ২৩ বছর পর আজ শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা যুবলীগের সাত-আটজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে আজ অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আহম্মেদ নাসিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়। সম্মেলনে যুবলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা-তদবির করছেন। শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি| | 141,242 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫, ১১:০৬ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫, ১১:১৮ | রাজনীতি | null | ট্রাক-ভ্যানে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/415723 | রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে আড়াআড়িভাবে ১৪টি ট্রাক ও ভ্যান রাখা হয়েছে। এতে ওই কার্যালয়ে প্রবেশ বা বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কার্যত পুরো কার্যালয়টি অবরুদ্ধ রয়েছে।গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়িটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়। এর উত্তর ও দক্ষিণ পাশে লম্বালম্বি সড়কটি আধা কিলোমিটারের মতো। এটিই ওই কার্যালয়ে আসা-যাওয়া করার একমাত্র পথ। এই সড়কটিতে ১১টি ছোট-বড় ট্রাক ও তিনটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়ি করে রাখা হয়েছে।গুলশান কার্যালয়ে কার্যত ‘অবরুদ্ধ’ খালেদাএর মধ্যে ৯০ নম্বর থেকে ৮৬ নম্বর রোডে ঢোকার মুখে পূর্ব ও পশ্চিম পাশে চারটি খালি ট্রাক আড়াআড়ি রাখা আছে। ৮৬ নম্বর রোডে প্রবেশের মুখে পুলিশের জলকামান গাড়ি আড়াআড়ি রাখা। আরেকটু সামনে এগোলে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এর সামনে একটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়ি করে রাখা। এর এক বাড়ি পরই খালেদা জিয়ার কার্যালয়।খালেদার গুলশান কার্যালয়ের সামনে এক ডজন ট্রাকগতকাল রোববার রাত ১২টার দিক থেকে ট্রাক ও ভ্যানগুলো নিয়ে আসা শুরু হয়। সড়কটিতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত শনিবার থেকে কার্যত অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া। আজও তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তাঁর কার্যালয় ও এর আশপাশে রয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, তাদের কাছে তথ্য ছিল, খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির সমাবেশ সামনে রেখে আগে থেকে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিতে পারেন। এ কারণে তাঁকে গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁকে তাঁর কার্যালয় এবং বাসার বাইরে কোথাও যেতে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। | 104,277 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মার্চ ২০১৪, ০১:২৬ | ১০ মার্চ ২০১৪, ০১:৩৯ | জয়িতা | 0 | জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/165187 | গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বরিশাল বিভাগের জয়িতাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই ক্রোড়পত্রে জয়িতাদের সাফল্যগাথা প্রকাশিত হলো।একজন সংগ্রামী অপ্রতিরোধ্য নারীর প্রতীকী নাম জয়িতা। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক জয়িতা। কেবল নিজের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল আর চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে জয়িতারা তৃণমূল থেকে সবার অলক্ষ্যে সমাজে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছেন। সরকারের মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর এই জয়িতাদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগটির নাম ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’। জয়িতাদের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে—১. অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী; ২. শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী; ৩. সফল জননী নারী; ৪. নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন যে নারী; ৫. সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী। পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগভিত্তিক জয়িতা বাছাই কাজটি পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বাছাইয়ের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। বরিশাল বিভাগে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ক্যাটাগরিভিত্তিক মনোনীত ৫৯৩ জন জয়িতার মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ২০৬ জন, জেলা পর্যায়ে ৩০ জন ও বিভাগীয় পর্যায়ে পাঁচজন জয়িতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর মনে করে, জয়িতারা বাংলাদেশের বাতিঘর। জয়িতাদের দেখে অন্য নারীরা অনুপ্রাণিত হলে ঘরে ঘরে জয়িতা সৃষ্টি হবে। আর তাহলেই বাংলাদেশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।অবিরাম ছুটে চলা ফাতেমা‘আলো আমার, আলো ওগো, আলো ভুবন-ভরা, আলো নয়ন-ধোওয়া আমার, আলো হূদয়-হরা’ শিক্ষা ও সচেতনতার আলোয় নিজে আলোকিত হয়েছেন। অন্যকে আলোকিত করার মূলমন্ত্র বক্ষে ধারণ করেছেন যে মহীয়সী নারী, তিনি ফাতেমা খানম।ফাতেমারা সাত ভাইবোন। বাড়ির কাছে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। নদী পার হয়ে অন্য গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তেন। নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যলয়ে যেতে হতো দুটি খেয়া ও কয়েকটি সাঁকো পার হয়ে। এভাবেই তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করেন। ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ ও পরবর্তী সময়ে ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যান। এ সময় সফলতার সঙ্গে এইচএসসি, বিএ ও এলএলবি পাস করেন। চাকরির পাশাপাশি আইন পেশায়ও সাফল্য অর্জন করেন। তিনি কেয়ার বাংলাদেশ ও ডানিডায় ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত থাকেন। এরপর একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। তিনি অক্সফামের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবেও চাকরি করেন। ১৯৯৮ সালে বরিশালে ছাত্রীদের বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার জন্য একটি ছাত্রী হোস্টেল ও তাদের পরিচালনায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ‘অশোকা ফেলোশিপ’ লাভ করেন। বরিশাল শহরে তিনিই প্রথম নারী, যিনি ব্যক্তিগত গাড়ি চালাতেন। তিনি বিভিন্ন সংস্থায় পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। এশিয়া-ইউরোপে অনেক দেশে প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পলিসি সভায় অংশ নেন। নিজের সারা জীবনের সঞ্চয় ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় নারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘মনস্বিতা মহাবিদ্যালয়’। নিজের তিন শতাংশ জমি ও সাত হাজার ৫০০ বই দিয়ে কবি সুফিয়া কামালের নামে একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন। নিজ এলাকায় তিনি গরিবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। নারীমুক্তির ধারক ও বাহক তিনি। ফাতেমা খানম অবিরত ছুটে চলা এক নারীর প্রতীক। ২০০৮ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি তাঁর অসাধারণ কাজ দিয়ে শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন।স্বপ্নাতুর এক সংগ্রামী নারী‘আমি অন্তঃপুরের মেয়ে, চিনবে না আমাকে। অসাধারণ যদি কিছু তলিয়ে থাকে কোথাও কেমন করে প্রমাণ করবে সে—এমন কজন মেলে যারা তা ধরতে পারে!’ রবীন্দ্রনাথের এই বাণী হূদয়ে ধারণ করে এক স্বপ্নাতুর নারী স্বপ্ন দেখেছিলেন একজন সাধারণ নারী থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে নিজেকে তুলে ধরতে। পুুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের সফলতা অর্জন কঠিন। বাধাবিপত্তি জয় করে কিছু নারী জীবনযুদ্ধে জয়ী হন। তাঁরা জয়িতা। এমন এক জয়িতা রাশিদা ইয়াসমিন। দরিদ্র বাবার সংসারে অনেক কষ্টে তিনি এসএসসি পাস করেন। স্বামীর সংসারেও ছিল অভাব। রাশিদা চিন্তা করতে থাকেন, কীভাবে নিজের ও অন্য নারীদের ভাগ্যের পরির্বতন করা যায়। তাই ‘শলনা মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সমিতি’ গঠন করেন। ৩৫ জন নারী এ সমিতির সদস্য। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ৬৮। এ সমিতির মাধ্যমে রাস্তার পাশে গাছ লাগান। সমিতির কাজের ক্ষেত্র বাড়তে থাকে। সদস্যদের মাছের চাষ ও সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় মহিলা অধিদপ্তরের সহযোগিতা পায়। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ৬৪টি জেলার নারী উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতার উদ্যোগ নেয়। রাশিদা এখানে অংশ নিয়ে সেরা নির্বাচিত হন। এ স্বীকৃতি তাঁকে আরও কর্মোৎসাহী করে তোলে। তাঁর সব কাজে পাশে ছিলেন স্বামী ফজলুল হক। সিঙ্গাপুরের ডেল কোম্পানি রাশিদাকে ‘ডেল শি পাওয়ার’ সম্মানে ভূষিত করে। নারীরা যে পারিবারিক সহযোগিতা পেলে তাঁদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারেন, তার প্রমাণ রাশিদা ইয়াসমিন। তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আশা করেন ‘তাঁর স্বামীর মতোই আর সব পুরুষ একই রকমভাবে নারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোক। মর্মভেদী জীবনের গল্পসেলুলয়েডের ফিতায় বন্দী কোনো সিনেমার গল্প নয়। গ্রামবাংলার অতি সাধারণ বালিকা সীমা বেগমের সীমানা ছেড়ে যাওয়ার মর্মভেদী জীবনের গল্প। জন্মই সীমার আজন্ম পাপ। তাই আজও দুর্ভাগ্য-নির্যাতন পিছু ছাড়েনি। কখনো এক বেলা খেতে পেতেন, কখনো খাওয়া হতো না। অনেক কষ্টে সীমা দাখিল পাস করেন।সীমার মা তাঁর বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী। উত্তরাধিকার সূত্রে সীমা সৎভাইবোনের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। ভাগ্যের পরিহাসে তিনি নিজেও তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। স্বামী যৌতুকের জন্য নির্মমভাবে নির্যাতন করতেন। সীমা অনেক কষ্ট করে স্বামীকে একটি স্বর্ণের চেইন দেন। এরপর স্বামী বায়না ধরেন মোটরসাইকেলের। এটা না দিতে পারায় স্বামী ও সতিন তাঁকে ভীষণভাবে নির্যাতন করেন। তাঁর কান ছিঁড়ে রক্ত ঝরতে থাকে। স্বামীর ঘর, বাপের বাড়ি কোথাও আশ্রয় হয় না সীমার। অবশেষে এক ভিক্ষুকের কাছে দিন কাটাতে থাকেন। এরই মধ্যে তাঁর একটি সন্তান হয়।সীমা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। দুই বছর মামলা চলে। সীমা ও তাঁর সন্তানের ভরণপোষণ দেওয়ার শর্তে মামলা শেষ হয়। কিন্তু অমানুষ স্বামী তাঁকে একটি পয়সাও দেন না। সীমা ঋণের টাকায় বিদেশ গেলেন। সেখানেও প্রতারণার শিকার। নির্দিষ্ট কাজের পরিবর্তে বাসাবাড়িতে কাজ নিলেন। এখানেও গৃহকর্তার অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। বারবার বাসার কাজ পরিবর্তন করেন। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ হয় না। এক বাসার মালিক তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। খাবার নেই। বেতন নেই। নির্ঘুম রাত। ভাগ্য যেন বারবার তাঁকে নিয়ে খেলা করছে। অবশেষে পালিয়ে পুলিশের সাহায্য নেন। পুলিশের সহায়তায় একটি ভালো চাকরি পান। দুই বছর পর ১০ লাখ টাকা নিয়ে দেশের মাটিতে ফেরেন সীমা। তিনি বাবার কাছ থেকে কিছু জমি পান। নিজে কিছু জমি কেনেন। এখানে হাঁস-মুরগি, মাছ, আলু ও সবজি চাষ করেন। এরই মধ্যে তাঁর মা ও বোন বিধবা হন। কে কাকে ফেলেন। তিনজনের একসঙ্গে শুরু হলো পথ চলা। সঙ্গে যোগ হলেন বেকার ভাইয়েরা। সাবেক স্বামীর অত্যাচার এখনো শেষ হয়নি। কখনো মামলা। কখনো প্রিয় সন্তানকে ছিনিয়ে নেওয়ার আতঙ্ক। কতই বা বয়স তাঁর? কিন্তু বড় কষ্টের, অপমানের, গ্লানির তাঁর এই অল্প সময়ের জীবন। এত দিনে ঠিকই চিনেছেন সমাজকে, সমাজের মানুষকে। অনেক কাজ তাঁর বাকি। কিন্তু পাশে কেউ নেই। একাই পাড়ি দিতে হবে জীবনের দীর্ঘ পথ। ক্লান্তিকে প্রশ্রয় দিতে চান না। কেবল নারী বলেই তাঁকে সইতে হয়েছে অত্যাচার, নির্যাতন ও অন্যায় অপবাদ। তিনি নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন।জীবন জয় করেছেন দুর্জয় সাহসেফকেজান বিবি। অতি সাধারণ একজন পল্লিবধূ। এভাবেই তাঁর পরিচয় দেওয়া যেত। কিন্তু সাধারণ আটপৌরে বধূর পরিচয় থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন অনন্যসাধারণ। তিনি রত্নগর্ভা। নিজেকে ধন্য করেছেন। সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধন্য করেছেন। চার ভাই, চার বোনের মধ্যে সবার ছোট ফকেজান। পঞ্চম শ্রেণীর গণ্ডি পেরোনোর আগেই কৈশোরে বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। স্বামীর ঘরে কোনো অভাব ছিল না। তিনি চার ছেলে ও এক মেয়ের মা হলেন। জীবনের নিয়মে সবকিছু ঠিক ছিল। এ সময় হঠাৎ করেই তাঁর স্বামী মারা যান। সংসারে নেমে আসে কলো ছায়া। কিন্তু সন্তানদের শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে তিনি হার মানেননি। একদিকে সংসারের হাল ধরা, অন্যদিকে ছেলেমেয়েদের মানুষ করা। হাজারো দায়িত্ব কাঁধে তাঁর। জীবনের সব স্বপ্ন এলোমেলো হচ্ছে। কিন্তু তিনি পথ ভুলতে চান না। নদীর এলাকার মেয়ে। নদী ও প্রকৃতির রুদ্র রোষ এই জনপদকে বিপর্যস্ত করেছে বারবার। প্রকৃতির বিরূপতাকে সঙ্গী করে জীবনের পথ চলা। প্রকৃতির কাছ থেকে জীবনকে জয় করার সাহস পেয়েছেন। তিনি জানেন, বিপদে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। মমতাময়ী মা ও যোগ্য অভিভাবক হয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পাঁচ সন্তানকে। বাবার অবর্তমানে সন্তানদের যোগ্য করে মানুষ করেছেন। বড় ছেলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার। মেজো ছেলে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব। তৃতীয় ছেলে কলেজের অধ্যাপক। চতুর্থ ছেলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আলাস্কায় কর্মরত। একমাত্র কন্যটিও চাকরি করেন। তাই ফকেজান বিবির কোনো অলংকারের প্রয়োজন পড়েনি। সন্তানরাই তাঁর শ্রেষ্ঠ অলংকার। তিনি এ দেশের জননীদের অহংকার।থেমে থাকেননি গোলাপজান ১৫ বছর বয়সে ষাটোর্ধ্ব একজন বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে হয় গোলাপজানের। স্বামী পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে থাকেন। স্বামী ও সংসারকে জীবনের নিয়তি বলে মেনে নেন গোলাপজান। এ জীবনে সুখ-শান্তি, আনন্দ বলে কিছু নেই গোলাপজানের। সংসারের বোঝা পড়ে গোলাপজানের কাঁধে। নিরন্তর ছুটে চলে তাঁর জীবন। স্থানীয় একটি এনজিওতে চাকরি নেন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজে যুক্ত থাকেন। তিনি গতানুগতিক জীবনের বৃত্তের বাইরে আসেন। শুরু হয় জীবনের কল্যাণমুখী কাজের পথ চলা। নারীদের কম সন্তান ও সুখী জীবনের ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। তিনি হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ নেন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ধাত্রীবিদ্যার প্রশিক্ষণ নেন। বিসিক থেকে বাঁশ, বেত ও নার্সারি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এসব জ্ঞানের মাধ্যমে নিজে স্বাবলম্বী হন।স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেন গোলাপজান। মা হওয়ার মতো কঠিন সময়ে নারীরা খুব অসহায় বোধ করেন। তাঁরা নিজেকে নিয়তির হাতে ছেড়ে দেন। গোলাপজান দায়িত্ববোধ, মায়া-মমতা ও ভালোবাসা নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান। সন্তান প্রসবে নারীদের সাহায্য করেন। এই বয়সেও প্রতিদিন অন্তত ১৫ জন গর্ভবতী নারীর বাড়ি যান। তিনি গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য ও ওজন পরীক্ষা করেন। জটিল রোগীদের সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে দেন। তাঁদের কম খরচে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করেন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। যক্ষ্মা রোগীদের জন্য নিয়মিত ওষুধ সংগ্রহ করেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। এভাবে বহুমুখী জনসেবা কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেন। অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার আনন্দই তাঁর সব কাজের প্রেরণা। সমাজ উন্নয়নে অবদানের জন্য তিনি জয়িতা নির্বাচিত হন।যাঁরা জয়িতা হলেনফকেজান বিবি : ক্যাটাগরি, সফল জননী নারী, গ্রাম: শ্রীপুর, উপজেলা: ভান্ডারিয়া, জেলা: পিরোজপুর গোলাপজান : ক্যাটাগরি, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী, গ্রাম: কানাইনগর, উপজেলা/জেলা: ভোলা রাশিদা ইয়াসমিন : ক্যাটাগরি, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, গ্রাম: শোলনা, উপজেলা/জেলা: বরিশাল ফাতেমা খানম : ক্যাটাগরি, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, গ্রাম: শৌলজালিয়া, উপজেলা: কাঁঠালিয়া, জেলা: ঝালকাঠি সীমা বেগম : ক্যাটাগরি, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে যে নারী ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, গ্রাম: মানিকজোড়. উপজেলা/জেলা: বরগুনাজয়িতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি আগামীকাল ১১ মার্চ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবেতত্ত্বাবধানে : মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়আয়োজনে : মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরবাস্তবায়নে : বিভাগীয় প্রশাসন, বরিশাল অর্থায়নে : জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলপ্রচার সহযোগিতায়: প্রথম আলো-চ্যানেল আই | 57,237 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ আগস্ট ২০১৭, ০৫:৪০ | ১২ আগস্ট ২০১৭, ০৫:৪১ | অপরাধ | 0 | পেঁয়াজের ভেতর ইয়াবা! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1285996 | বস্তার ভেতর ছিল মসুর ডাল, সেমাই ও পেঁয়াজ। কক্সবাজার থেকে বাসে করে বস্তাটি চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে আসেন এক তরুণ। তল্লাশির পর পেঁয়াজের ভেতরেই পাওয়া যায় ইয়াবা বড়ি। বিশেষ কৌশলে পেঁয়াজের ভেতর লুকিয়ে রাখা পাঁচ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইয়াবা পাচারের অভিযোগে বস্তাটি বহনকারী করিম উল্লাহ নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের কর্মকর্তারা।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের উপপরিচালক জিল্লুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরের মুরাদপুরে এক তরুণকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা একটি বস্তায় থাকা পেঁয়াজের ভেতর থেকে একে একে বেরিয়ে আসে ইয়াবা বড়ি। বড় বড় পেঁয়াজের ভেতরের অংশ কেটে ইয়াবা ঢোকানো হয়। পরে সেগুলো কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বিক্রির আগেই ধরা পড়ে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। | 332,312 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ মার্চ ২০১৬, ০২:১৩ | ০৯ মার্চ ২০১৬, ০২:১৪ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/793366 | ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির একটি অংশ সংশোধনের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ও বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ও নাজমুল হাসান বলেন, ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্য ক্যাডারের উপসহকারী পরিচালক পদে মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদেরও আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই মৎস্য উপসহকারী পরিচালক পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবেদন করার সুযোগ বাদ দিতে হবে।গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। | 209,055 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৬:২৫ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৬:২৬ | শেয়ারবাজার | null | চার হাজার পয়েন্টের নিচে ডিএসইর সূচক | http://www.prothom-alo.com/economy/article/51525 | সপ্তাহের প্রথম দিন আজ রোববার সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকও কমেছে। তবে লেনদেন বেড়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। এদিকে সূচক কমায় আজ ডিএসইর সূচক চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে।প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬৮ পয়েন্টে।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচক বাড়ার হার কমতে শুরু করে। এমনকি শেষ পর্যন্ত নিম্নমুখী থাকে সূচক।ডিএসইতে আজ ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫টির দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৮১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।ডিএসইতে আজ ৩৩২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত বৃহস্পতিবারের চেয়ে ২৯ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৩০৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমেছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ১৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২ হাজার ২৪০ পয়েন্টে।আজ সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫২টির দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।সিএসইর লেনদেন আজ ৩০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা বৃহস্পতিবারের চেয়ে তিন কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতির এই বাজারে ২৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়।ডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিএসসিসিএল। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সিএমসি কামাল, আরগন ডেনিমস, জেএমআই সিরিঞ্জ, কনটিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইউনাইটেড এয়ার, রহিমা ফুড, তাল্লু স্পিনিং, প্রাইম ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড প্রভৃতি। | 20,274 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ২০:৪৭ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ২০:৪৯ | দেশের ক্রিকেট | null | অলরাউন্ডার সাব্বিরকেই চান মাশরাফি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/742642 | ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর লেগ স্পিন এক সময় নজর কেড়েছিল। কালের বিবর্তে সাব্বির রহমান যেন নিজের বোলার পরিচয়টাই ভুলতে বসেছেন। অলরাউন্ডার পরিচয় ছেড়ে পুরো মনোযোগ ব্যাটিংয়ে। কিন্তু মাঝে মধ্যে যখনই বল হাতে তুলে নেন, হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে আসা ফ্লাইট আর টার্নের দুর্বোধ্যতা মুগ্ধ করে। আজ বাংলাদেশের মূল বোলাররা যখন কিছুতেই থামাতে পারছিল না জিম্বাবুয়ের রানের চাকা, টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে তিনিই হেনেছেন মোক্ষম আঘাত।২.১ ওভার বল করে ১১ রানে ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা হতে এটাই যথেষ্ট ছিল।এর আগে ব্যাট হাতেও করেছেন ৪৩। দুই দলের ২২ জন মিলিয়েই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান তাঁর, সবচেয়ে বেশি উইকেটও। আজ মাশরাফি জানালেন, এই সাব্বিরকেই তিনি চান। চান, সাব্বির যেন নিজের বোলিংটার প্রতি অবিচার না করেন।ব্যাটিং অর্ডারে তিনে পদোন্নতি পাওয়ার পর দুই ম্যাচেই সাব্বির আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। এর জন্য মাশরাফিকে স্পেশাল একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন। অধিনায়ক জানালেন, সাব্বিরের ওপর বিশ্বাস কখনোই এতটুকু কমেনি তাঁর, ‘সে সব সময়ই ভালো খেলছে। বিপিএলের প্রথম দিকে স্কোর করতে পারেনি। তারপর সেমিফাইনাল থেকে খুব ভালো করেছে। এখন সে খুব ভালো ছন্দে আছে। একই সঙ্গে ওকে বলেছি বোলিংটাও একটু দেখতে। একজন ব্যাটসম্যান যদি বোলিংটাও পারে, সেটা সব সময়ই তার জন্য বাড়তি অস্ত্র। শুধু তার জন্যই না, পুরো দলের জন্য। ব্যাটসম্যান হিসাবে সে সেরা মানের। সঙ্গে বোলিংটাও ভালো করছে। এভাবে যদি বল করে সাহায্য করতে পারে, দলের জন্যও সেটা খুবই ভালো।’কিন্তু সাব্বির নিজে বল করতে চাইলে তো শুধু হবে না। কে কখন বোলিং করবে, এটা অধিনায়কের ওপরই নির্ভর করে। এ দিক দিয়েও মাশরাফি উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাব্বিরের, ‘অবশ্যই তাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ও লেগ স্পিনার। এটা এখন ক্রিকেট বিশ্বেই হারিয়ে যেতে বসেছে। শেন ওয়ার্নদের মতো ধ্রুপদি লেগ স্পিনার হয়তো ও নয়। তারপরও লেগ স্পিনাররা উইকেট টেকিং বোলার। ও যদি এটা নিয়মিত করতে পারে, সেটা ওর জন্য ভালো, দলের জন্যও ভালো।’প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও দুই ওভার করিয়েছেন। আজও করালেন। ঘরোয়া ওয়ানডেতে এক ম্যাচে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নেওয়া সাব্বিরের জন্য এটা সুখবর বৈকি! | 192,942 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ১১:২৪ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ১১:৩৬ | অপরাধ | null | অগ্নিদগ্ধ আবদুস সাত্তারও চলে গেলেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/89071 | ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এবার মারা গেলেন অগ্নিদ্বগ্ধ আবদুস সাত্তার (৬৫)। আগুনে তাঁর শরীরের ৬৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় তিনি মারা যান।ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, ১ ডিসেম্বর তাঁকে এখানে আনা হয়। লাশ তাঁর পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।গত শনিবার সন্ধ্যার পর মাহফিল শুনে বাসায় ফেরার পথে পটুয়াখালীর বদরপুরে অটোবাইকে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হন আবদুস সাত্তার। তিনি পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসরে যান।যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন অবস্থায় এ নিয়ে নয়জন মারা গেলেন। দগ্ধ দেহে অশনিসংকেত ‘শেষ কথা’ বলেননি মা | 32,594 |
শেরপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০৯ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৩২ | শেরপুর,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | জরিমানা আদায় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1062397 | শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে পাঁচ ফল ব্যবসায়ীকে সাড়ে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে ইউএনও ও আদালতের নির্বাহী হাকিম এ জেড এম শরীফ হোসেন এ আদেশ দেন। ব্যবসায়ীরা হলেন ঝিনাইগাতী সদরের শাহিন মিয়া, আয়নাল হক, নিজাম মিয়া, রেজাউল করিম ও ফরিদ মিয়া। ইউএনও বলেন, জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। | 285,011 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৮:৫৯ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:২২ | অপরাধ | null | দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি দুদক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/309064 | পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের মামলায় কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।দুদকের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে প্রথমে মামলা করা হয়। তবে মামলা-পরবর্তী তদন্তে আমরা ষড়যন্ত্রেরও কোনো প্রমাণ পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু দুর্নীতি প্রতিবেদনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। এ তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (নথিভুক্ত) দাখিল করা হবে।’২০ মিনিটের এ সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে আমরা দুই দফা অনুসন্ধান করি। প্রথম দফায় ঠিকাদার নিয়োগ এবং দ্বিতীয় দফায় পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সেই অনুসন্ধানটি নথিভুক্ত (ফাইল ক্লোজ) করা হয়।’পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে অনুসন্ধানের বিষয়টি উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক দাবি করে—পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে। গণমাধ্যমেও এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়। পরে আমরা অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এ বিষয়ে একটি মামলা করি। তবে মামলা-পরবর্তী তদন্তে আমরা দুর্নীতি বা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাইনি।’বদিউজ্জামান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক টিমের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি, যার ভিত্তিতে আমরা তদন্ত চালিয়ে যেতে পারি। এ ছাড়া তদন্ত সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো তথ্যও ছিল না।’ | 90,068 |
রাহীদ এজাজ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০০ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০৩ | রাজনীতি | 0 | ঢাকার সঙ্গে দুই স্তরে সম্পর্ক রাখছে বিদেশিরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/732265 | বাংলাদেশের সঙ্গে দুই স্তরে সম্পর্ক রাখছে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো। নির্বাচন, সুশাসন ও মানবাধিকার নিয়ে তারা সমালোচনা করলেও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকছে তারা।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে সমালোচনামুখর ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব। পরে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছিল জাতিসংঘ, মার্কিন কংগ্রেস, যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্স, কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশ। সবাই একতরফা নির্বাচন ও সহিংসতায় উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার তাগিদ দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর প্রথমে ভারত এবং পরে চীন ও রাশিয়া সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়।৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে ঘিরে ২০১৫ সালের শুরুতে আবার সংঘাত-সহিংসতা শুরু হলে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এপ্রিলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পর্যন্ত বক্তৃতা-বিবৃতিতে তাদের সরব থাকতে দেখা গেছে। তখনো তারা আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা থেকে উত্তরণের কথা বলেছে। কিন্তু বছরের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের এ নিয়ে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। বরং গণতন্ত্র, সংলাপের মতো বিষয়গুলোকে পাশে সরিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে দেখা গেছে পশ্চিমের দেশগুলোকে। সেপ্টেম্বরের পর থেকেই বিদেশি নাগরিকদের হত্যা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলা ও হতাহতের পর তারা উচ্চকণ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে। জঙ্গিবাদ ও আইএস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পাশে পেতে মরিয়া মনোভাবও দেখিয়েছে।অথচ ২০১৪ সালের শুরুতে তো বটেই, ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে সহিংসতা বন্ধ, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য বেশ কয়েক দফায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বিবৃতি দিয়েছেন। দুই নেত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। সংকট নিরসনে বান কি মুন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে মধ্যস্থতার জন্য দায়িত্ব দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সরকার জাতিসংঘের এই উদ্যোগে সাড়া দেওয়ার চেয়ে কালক্ষেপণ করায় শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রয়াস সফল হয়নি। সংলাপের আহ্বান জানিয়ে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকেরা দুই দলের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার তাঁদের এসব আহ্বানে সাড়া দেয়নি।জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের প্রথম তিন মাস ছাড়া মোটামুটিভাবে দেশে স্থিতিশীলতা ছিল। বিনিয়োগ বাদ দিলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি ভালো করছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সঙ্গে যুক্ত থাকার ওপর জোর দিয়েছে। যদিও সুশাসন ও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় বিনিয়োগ নিয়ে অনেকের আস্থার সংকট আছে। তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে এ বছরও অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আস্থা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।আশফাকুর রহমানের মতে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব গণতন্ত্র, সুশাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যে বক্তব্য দেয়, সেটি তাদের নিজেদের এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে বলে। কাজেই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শুধু এসব বিষয় নিয়ে জোরালো অবস্থান তুলে ধরার চেয়ে তাদের জন্য এ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকাটা অনেক বেশি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি তাঁর দপ্তরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ ও জোটের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক গত দুই বছরে আরও শক্তিশালী হয়েছে। তুলনামূলকভাবে একটি নতুন গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরাও স্বীকার করি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করা দরকার। ২০২১ ও ২০৪১ সালে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতি, সংলাপ ও নির্বাচনের মতো বিষয়গুলোকে কিছুটা পাশে সরিয়ে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তাদের এমন অবস্থানের নেপথ্যে কাজ করেছে একাধিক বিষয়। এর প্রথম ও প্রধান কারণ দুই বছরের অধিকাংশ সময় মোটামুটিভাবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। পাশাপাশি ভারতের মতো নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করে চীন ও জাপানের মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান অন্য দেশকেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভাবিয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক ও কৌশলগত অবস্থানও ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এ বিষয়টি সরকারের জন্য সহায়ক হয়েছে। আর গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে হঠাৎ করে সন্ত্রাসমূলক তৎপরতা বেড়ে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আইএসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশের মতো মধ্যপন্থী মুসলিম দেশকে পাশে রাখাটা পশ্চিমের জন্য তো বটেই, আরব দেশগুলোর জন্যও জরুরি হয়ে পড়েছে।দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে ধারাবাহিকভাবে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আবার ভারতকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমার ও চীনকে যুক্ত করে অর্থনৈতিক করিডর প্রতিষ্ঠার যাত্রায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেল তৈরিতে যুক্ত রেখে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে সরকার। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফরের সময় জাপানের বিশেষ উদ্যোগ বিগ বি বা বঙ্গোপসাগরীয় শিল্প উদ্যোগে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়েছে। ফিরতি সফরে ঢাকায় এসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের নির্বাচনে তাঁর দেশের সমর্থনে বাংলাদেশের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সফল হন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি এ সফরের সময় বাংলাদেশের ব্যবসা ও বাণিজ্যে ব্যাপকভাবে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেন।রাজনীতি, সুশাসন ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত থাকার পরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যবসা, বাণিজ্য, উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সামরিক ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত আছে। দেশটি মনে করে, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় করিডরের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিলে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ দিক থেকে ভবিষ্যতে কৌশলগত কারণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কারণেও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার থাকবে বাংলাদেশ।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করতে সরকার যেমন সজাগ থেকেছে, তেমনি চেষ্টা ছিল আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর। এর ধারাবাহিকতায় ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় সমর্থনের পাশাপাশি বছরের শেষে এসে সৌদি আরবের প্রস্তাবিত সামরিক জোটে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য উইকিলিকসের সৌদি নথি থেকে দেখা গেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে জামায়াতে ইসলামী এবং রাজনৈতিক মধ্যস্থতার জন্য বিএনপির অনুরোধ রাখেনি সৌদি আরব। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল দুটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও সৌদি সরকার তাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এটিকে বিবেচনায় নিয়ে সৌদি আরবের ইয়েমেন অভিযান ও সামরিক জোট ঘোষণার মতো উদ্যোগে সায় দিয়ে তাদের পক্ষে রাখার পথে হাঁটছে বর্তমান সরকার।গণতন্ত্র ও সুশাসনের গুরুত্ব থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাই ছিল ইউরোপের দেশগুলোর সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয়। তাই চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়নের ফলাফলকে বিবেচনায় নিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো।নির্বাচন ও সরকারের প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিকতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তির পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রেও রাশিয়ার সঙ্গে একাধিক চুক্তি করেছে সরকার। ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থালেস অ্যালেনিয়া স্পেস বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কাজ এবং দেশটির আরেক প্রতিষ্ঠান টেকনিপ পেয়েছে দেশের একমাত্র তেল শোধনাগারের ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বাড়ানোর কাজ। পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে নেদারল্যান্ডসের রটারডাম পোর্টকে।জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে তুলনামূলকভাবে কম কথা বলতে দেখার মানে এটা নয় যে তারা বিষয়গুলোকে বাদ দিয়েছে। বৈশ্বিক মানদণ্ড পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়গুলো নিয়ে ওই দেশগুলো কথা বলবে। আবার একই সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত থেকেছে, সহযোগিতা বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের সঙ্গে তারা দুই স্তরেই সম্পর্ক বজায় রাখবে। | 189,846 |
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জুন ২০১৬, ০১:২০ | ১৫ জুন ২০১৬, ০১:২১ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | শোভাযাত্রা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/888388 | ঢাকার নবাবগঞ্জে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা করে উপজেলার ছাত্র সংগঠন ‘ইছামতি’। বিকেল পাঁচটায় দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে কলেজ মিলনায়তনের সভাকক্ষে আলোচনা সভা হয়। ইছামতি সংগঠনের সভাপতি মাসুম বিন মোশারফের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র দত্ত, শিকারীপাড়া তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলমাছ উদ্দিন, আওয়ামী লীগের নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন রহমান আকবর প্রমুখ। | 232,418 |
ভোলা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১১ | ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১১ | ভোলা,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ধর্ষণ মামলার বাদী সাজানোয় ওসি–এএসআই আসামি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/837997 | জোর করে কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার বাদী বানাতে গিয়ে ভোলার তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসামি হয়েছেন। ওই কিশোরী এখন দুটি মামলার বাদী। এক মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা ও আরেক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হয়েছেন। তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচড়া ইউনিয়নের চরজহিরউদ্দিনের ওই কিশোরী (১৭) গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে করে বলে, চরজহিরউদ্দিন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই জাকির হোসেন ১৭ এপ্রিল সকাল আটটায় তার বাড়িতে গিয়ে জোরজবরদস্তি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর আনেন। পরে দেখা যায়, ওই স্বাক্ষরের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন (ধর্ষণ) আইনে একটি মামলা সাজানো হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, মলংচড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান ওরফে মান্নান বাগানী, তাঁর শ্যালক মাকসুদুর রহমান, ভাতিজা ইব্রাহীম ও আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কাশেম বিভিন্ন সময়ে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী অবৈধ গর্ভপাত করে। কিশোরী লিখিত বক্তব্যে বলে, ‘আমি কখনো ধর্ষণের শিকার বা গর্ভবতী হইনি এবং কারও বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিইনি। পুলিশের এএসআই জাকির হোসেন নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কারও পক্ষ হয়ে তাকে বাদী বানিয়ে তজুমদ্দিন থানায় ওই মামলা করেছেন।’ কিশোরী আরও বলে, ‘পুলিশ আমাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে চাইছে, আমি তাও করতে রাজি না। এতে আমার সম্মানহানি হবে।’ ওই কিশোরী ভোলার পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বরাবর লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করে। পরে এসপির নির্দেশে কিশোরীকে বাদী করে বৃহস্পতিবার তজুমদ্দিন থানার আওতাধীন চরজহিরউদ্দিন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই জাকির হোসেন এবং থানার ওসি মাসুম তালুকদারকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করান। পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কিশোরীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারাই দোষী হবে, তারা শাস্তির আওতায় আসবে।’ এএসআই জাকির হোসেন বলেন, ওই কিশোরীকে দিয়ে তিনি জোর করে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করাননি। সে স্বেচ্ছায় অভিযোগ দিয়েছে। এখন ভয়ে উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করালে সত্য বেরিয়ে আসবে। সে পরীক্ষাও করাতে চাইছে না। তবে নিজেকে সম্পূর্ণ নিরপরাধ দাবি করে মলংচড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, তাঁদের বিপক্ষ দল (জাহাঙ্গীর হোসেন, ফরিদ মাঝি ও হেলাল উদ্দিন) তজুমদ্দিন থানার ওসি ও এএসআইকে টাকা খাইয়ে কিশোরীকে দিয়ে জোর করে মামলা করিয়েছে। তবে উল্লিখিত নামের লোকজন আবদুল মান্নানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। | 222,855 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৫ আগস্ট ২০১৪, ১৬:৫২ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৮ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | মেসিদের মাঠে ‘অভিশপ্ত কালো বিড়াল’! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/300733 | ‘বিল্লি নে কাট দিয়া’। হুমায়ূন আহমেদের পাঠকেরা এই সংলাপটির সঙ্গে নিশ্চয়ই পরিচিত। অবশ্য শুধু ভারতীয় সংস্কৃতিতে নয়, কালো বিড়ালকে অপয়া ভাবা হয় বিশ্বের অনেক দেশেই। কালো বিড়ালের সঙ্গে ডাকিনিবিদ্যা আর তন্ত্রমন্ত্রের যোগসূত্র দেখিয়ে কম কল্পগল্পও হয়নি। সেই কালো বিড়াল কাল বার্সেলোনার মাঠে! সেটিও বার্সার মৌসুম শুরুর প্রথম ম্যাচের একেবারে প্রথম মিনিটে!রেফারির খেলা শুরুর বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড পরেই খেলা থামিয়ে দিতে হয়। বার্সার নতুন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোর রাজ্যসীমা ডি-বক্সের ভেতরেই ঢুকে পড়েছে কালো বিড়াল! মিশমিশে কালো। হাভিয়ের মাচেরানো এসে তাড়ানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু বিড়াল বাবাজি বোধ হয় বিশ্বের কোটি চোখের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে বেশ মজাই পাচ্ছিল। কিছুতেই মাঠ ছেড়ে বেরোবে না পণ করেছিল। শেষে মাঠকর্মীদের একজন খপাত্ করে ধরে মাঠের বাইরে নিয়ে যায় বিড়ালটাকে। গায়ে মোচড়-টোচড় দিয়ে বিড়ালটি প্রতিবাদও জানাচ্ছিল। হাতের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে পেতে এক্কেবারে মাঠের বাইরে।স্পেনেও কালো বিড়াল অপয়া হিসেবেই দেখা হয়। এবং কী অবাক করা ব্যাপার, মৌসুমের প্রথম গোলটা পেতে হন্যে হয়ে থাকা বার্সাকে দুই দুবার আটকাল গোলপোস্ট। প্রথমে বার্সার নতুন বিস্ময়-বালক মুনির এল হেদাদির, এরপর ইনিয়েস্তার শট লেগে ফিরল।লিওনেল মেসি দুর্দান্ত গোল করে সেই অপয়া ভূতটা তাড়িয়েছেন কি তাড়াননি, এমন সময় প্রথমার্ধেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা মাচেরানো। এই মাচেরানোই কিন্তু বিড়ালটিকে প্রথম তাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন! তবে কি বিড়ালেরই অভিশাপ?বিজ্ঞানমনস্ক মনও কিন্তু প্রিয়জনের বিপদে সংস্কারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বার্সা কিছুতেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না যখন, সমর্থকদের মনে কালো বিড়ালের ছায়া উঁকি না দিয়ে যায়নি। অবশ্য সমর্থকেরা প্রত্যাশা করবে, অভিশাপটা মাচেরানোর এক লাল কার্ডের ওপর দিয়ে চলে গেলেই ভালো। প্রথম ম্যাচটা বার্সা যেমন ১০ জনের দল নিয়েও ৩-০ গোলের দাপুটে জয় দিয়ে শুরু করেছে, সেই ধারা যেন বজায় থাকে পুরো মৌসুমে।ভয়ের কথা হলো, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ন্যু ক্যাম্পেও একটি কালো বিড়াল ঢুকে পড়েছিল। সেদিন রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতলেও ২০১১-১২ মৌসুমে কিন্তু লিগ শিরোপা জেতা হয়নি বার্সার! | 87,798 |
প্রথম আলো ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১১ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৫৯ | ১১ অক্টোবর ২০১৩, ০২:০১ | গবেষণা,জীবনধারা | 0 | তথ্য সংরক্ষণের প্রথম পদ্ধতি? | http://www.prothom-alo.com/technology/article/54754 | লিখনপদ্ধতি আবিষ্কারের আগে মানুষ কীভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ ও তথ্য সংরক্ষণ করত? মার্কিন গবেষকেরা বলছেন, প্রাচীন যুগে মানুষ যোগাযোগের জন্য বিশেষ একধরনের মাটির গোলক ব্যবহার করত। মেসোপটেমিয়া (বর্তমান ইরাক) থেকে প্রাপ্ত গোলকের ওপর গবেষণা চালিয়ে সম্প্রতি এ তথ্য জানানো হয়েছে।লিখনপদ্ধতি আবিষ্কারের ২০০ বছর আগে এ ধরনের গোলক বিনিময় করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। কানাডার টরন্টোতে সাম্প্রতিক এক প্রত্নতাত্ত্বিক প্রদর্শনীতে গবেষকেরা বলেন, মাটির গোলকের মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের এই পদ্ধতিই সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি।শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্রিস্টোফার উডসের নেতৃত্বে একদল গবেষক ২০টি মাটির গোলক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। এতে উচ্চ ক্ষমতার সিটি স্ক্যান ও ত্রিমাত্রিক মডেল ব্যবহার করা হয়। এতে দেখা যায়, গোলকের ভেতরে বিভিন্ন আকারের জ্যামিতিক চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো বিভিন্ন ধরনের সংকেত প্রকাশ করে।১৯৬০ সালে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় চোগা মিশ নামক প্রত্নস্থল থেকে ওই গোলকগুলো উদ্ধার করা হয়। এগুলো প্রায় পাঁচ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সময় মেসোপটেমিয়ায় সভ্যতার বিকাশ সবে শুরু হয়। গবেষকেরা মাটির গোলককে ‘চিঠির খাম’ নামে অভিহিত করেছেন। কারণ, খামের মধ্যে যেমন চিঠি থাকে, তেমনি ওই গোলকের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের চিহ্ন বা সংকেত রাখা হতো। বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে এ ধরনের মাত্র ১৫০টি গোলক অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, মাটির গোলকগুলো অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হতো। মেসোপটেমিয়ার নুজি নামক স্থানে পাওয়া তিন হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো একটি গোলকের ভেতরে ৪৯টি নুড়ি পাওয়া যায়। এতে প্রাচীন পারস্যের লিপিতে ৪৯টি ভেড়া ও ছাগল প্রতিপালনের নির্দেশনা ছিল।নতুন গবেষণায় দেখা যায়, কয়েকটি গোলকের মধ্যে থেকে দুই মিলিমিটার সূক্ষ্ম ছিদ্র খুঁজে পাওয়া যায়। এতে ধারণা করা হচ্ছে, গোলকের মধ্যে স্থাপিত বিভিন্ন আকৃতির চিহ্ন বা প্রতীকের সাহায্যে সংখ্যা বা কোনো জিনিসের পরিমাণ বোঝানো হতো। এ ছাড়া গোলকের মধ্যে থাকত তুলনামূলক কম ঘনত্বের বিভিন্ন পদার্থের তৈরি প্রতীক বা চিহ্ন। এগুলোর মাধ্যমে হয়তো কোনো জটিল হিসাব-নিকাশের তথ্য সংরক্ষণ করা হতো।মাটির গোলকের বাইরের অংশে একধরনের চিত্র বা ছবি পাওয়া যায়। গোলকভেদে একটি থেকে দুটি ছবি থাকত। লাইভসায়েন্স। | 23,491 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:১৬ | ১৪ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:১৮ | দুর্ঘটনা | null | আলপনা আঁকা হলো না, রক্তে রাঙা হলো সড়ক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/192748 | বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে নববর্ষের আলপনা আঁকার পরিকল্পনা ছিল শাহীন ফেরদৌস ও তাঁর বন্ধুদের। কিন্তু তার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শাহীনের। রক্তে রাঙা হলো সেই সড়কটি।শাহীন রাজধানীর শুক্রাবাদে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র। তাঁর বন্ধুরা বলছেন, গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মিরপুর সড়কে উল্টোপথে চলতে থাকা একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন শাহীন। পরে সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।নিহত শিক্ষার্থীর বন্ধুরা জানান, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় আলপনা আঁকার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। এ জন্য মালামাল কিনতে যাওয়ার জন্য ক্লাস পরীক্ষা শেষ করে ক্যাম্পাস থেকে বের হয় শিক্ষার্থীদের দলটি। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় ক্যাম্পাসের সামনেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মিরপুর সড়ক ধরে উল্টোপথে সোবহানবাগের দিকে চলতে থাকা একটি মাইক্রোবাস শাহীনকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের ওপরে আছড়ে পড়েন শাহীন। তাঁর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে। বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে তিনি মারা যান।ঘটনার পরপরই একদল শিক্ষার্থী ওই মাইক্রোবাসটি আটক করেন। গাড়ির সামনে সাদা কাগজে লেখা ছিল, ‘মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, কর্মরত মহিলা গার্মেন্টস শ্রমিকদের আবাসনের জন্য হোস্টেল নির্মাণ, বড় আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা প্রকল্প’। শিক্ষার্থীরা ওই গাড়িসহ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান। কিছুক্ষণ সড়কটি বন্ধ থাকার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, গাড়ি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়েছেন।স্কয়ার হাসপাতালে শাহীন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় খবর পেয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হন। রাত পৌনে আটটার দিকে চিকিৎসকেরা শাহীনকে মৃত ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হইচই শুরু করেন। পরে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। এরপর হাসপাতালে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হাসপাতালের প্রবেশপথগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। | 65,760 |
শায়ের খান | entertainment | বিনোদন | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৭:২৫ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৭:২৫ | -1 | 0 | সেই ওয়েস্টার্ন রঙের দিনগুলো! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1551116 | কাউবয় মুভি মানে ওয়েস্টার্ন মুভি। অনেকে ওয়েস্টার্ন বলতে ভাবেন পশ্চিমা মুভি। তা নয়। ২৪ ক্যারেট আমেরিকান মুভি। কাউবয়ের সোজা বাংলা, গরুর রাখাল। রাখাল? আমেরিকায়? হ্যাঁ। এই কালচারই ছিল সেই সময়ে। ২০০ বছর আগে। সময়টা ছিল রুক্ষ। বেঁচে থাকার প্রধান উপায় ছিল গরু পালন। গরু পালন মানে গোয়ালঘরে না। শয়ে শয়ে গরু। এই গরুগুলো পালা হয় বিশাল অঞ্চলজুড়ে। রাখা হয় কাঠের গুঁড়ির বিশাল বিশাল ঘেরে। টিভি-মুভিতে দেখেছেন। এগুলোকে বলে র্যাঞ্চ। র্যাঞ্চের মালিক র্যাঞ্চার। ধনী। এই গরু পালা, গরু ধরা, লুট করা, রক্ষা নিয়ে হয় দলাদলি, খুন-খারাবি। গড়ে ওঠে শহর, হোটেল, পানশালা। উদয় হয় খুনি মাস্তান, চলে আসে মাস্তানের মাস্তান হিরো, হাজির হয় আইনের রক্ষক শেরিফ। তৈরি হয় এই বিচিত্র কালচার নিয়ে নানা রঙের, নানা কাহিনির ওয়েস্টার্ন মুভি। হলিউডে।বিগত শতকের দ্বিতীয় ভাগজুড়েই ছিল কাউবয় মুভির জয়জয়কার। কাউবয় মুভিগুলোর দর্শক ছিলেন তরুণেরা। তবে মারদাঙ্গা মনের কলেজ-ভার্সিটির মেয়েরাও আসতেন মধুমিতা-অভিসারে। এই হল দুটিতে বেশি ইংলিশ মুভি চলত। অনেকে অবশ্য টিপ্পনি কেটে বলতেন, মেয়েরা আসে ক্লিন্ট ইস্টউড, জন ওয়েন, চার্লস ব্রনসনদের দেখতে, কাউবয়দের না। ওয়েস্টার্ন হিরোরা দেখতে ম্যানলি। রাফ অ্যান্ড টাফ।ওয়েস্টার্ন মুভির মজা পেতে হলে কাউবয় কালচার সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে ভালো। অবশ্য দেখতে দেখতে জানা হয়ে যায়।ওয়েস্টার্ন মুভিগুলো মূলত তৈরি হয় ১৯৪০-৫০ দশক থেকে। এর কাঁপানো ধাক্কা ঢাকায় এসে লাগে স্বাধীনতার পর। মধুমিতা মুভিজ এ দেশে হলিউড মুভি রিলিজ দেওয়ার কিংবদন্তি। ওয়েস্টার্ন মুভিগুলো তারাই আনত। বিগত শতকের সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে মধুমিতা-অভিসার-নাজ সিনেমা হলে ছবি দেখার শুরুর আকর্ষণ ছিল আমেরিকায় বানানো সফট ড্রিংকসের বিকিনি মেয়েদের বিজ্ঞাপন আর মুক্তির প্রতীক্ষায় হলিউড মুভির ট্রেলার। এক বছর আগে থেকেই দর্শক ট্রেলারে দেখতেন ওয়েস্টার্ন কাউবয় মুভির মজার মজার ক্লিপগুলো। দেখতেন জন ওয়েন, পল নিউম্যান বা ক্লিন্ট ইস্টউডদের শক্তিশালী অ্যাকশন। হলগুলোর ডিসপ্লেতে শোভা পেয়েছে ওয়েস্টার্ন মুভির আকর্ষণীয় পোস্টার ‘দ্য গুড দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’, ‘রেড সান’, ‘ফর আ ফিউ ডলারস’, ‘ম্যাকেনাস গোল্ড’, ‘কিল দেম অল অ্যান্ড কাম ব্যাক অ্যালোন’। লেখা থাকত, কামিং সুন! দর্শকও মনে মনে বলতেন, আমরাও আসছি, ডোন্ট ওরি! নাজ সিনেমা হল যাঁরা চিনতে পারছেন না, বলছি, গুলিস্তান হলের ডান পেটে ছোট্ট এই হলটি ছিল ইংলিশ ছবির জন্য বরাদ্দ। পরে তা বাংলা ‘অশ্লীল’ বা ‘কাটপিস’ ছবির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।কাউবয় মুভি মানেই অ্যাকশন, টানটান উত্তেজনা, মারদাঙ্গা মুভি। থাকবে ঘোড়া, ঘোড়ার আস্তাবল, গরুর র্যাঞ্চ, ট্রেন, ওয়াগন, রেড ইন্ডিয়ানরা, থাকবে রিভলবার-বন্দুক-গোলাগুলি, থাকবে ফুর্তি, ডুয়েল ফাইট, সেলুনে রাতভর হইহল্লা আর সাইড দিয়ে হালকা প্রেম। সেলুন মানে চুল কাটার সেলুন না, রাস্তার পাশের ছোট্ট পানশালা। এই পানশালাগুলোকে সেলুন বলা হতো। এগুলো ছিল ২০০ বছর আগের আমেরিকা। আস্তে। এরই মধ্যে কিন্তু ওরা চাঁদ বিজয় করে ফেলেছে, ১৩ ফুট লম্বা ডিঙিতে চড়ে সবার আগে আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছে।কাউবয়দের সঙ্গে আমার পরিচয় স্কুলজীবন থেকেই। যার ফলে তাদের বুঝতে সুবিধা হয়েছে। পল নিউম্যান, চার্লস ব্রনসন, ক্লিন্ট ইস্টউড, গ্রেগরি পেকরা ছিল আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। তাদের কাছ থেকেই শিখি কাউবয় কালচার।প্রথম যে বিষয়টি আমাকে নাড়া দেয়, তা হলো, ইস্টম্যান কালার! যেকোনো ওয়েস্টার্ন মুভির ট্রেলারেই বিশেষভাবে বলা হতো, ইন ইস্টম্যান কালার! এটা আসলে আকর্ষণীয় আধুনিক রঙের জানান দিয়ে কাছে ডাকা।দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ কাউবয় মুভিগুলোর কাহিনি হতো মহৎ মেসেজের। পাহাড়-পর্বতঘেরা গরুর র্যাঞ্চ ও জনপদের ধারেকাছেই থাকবে একটা শহর। শহর মানে আমাদের গঞ্জ আর কি। একটা চিপা রাস্তা, রাস্তার দুই ধারে কিছু ঘর, সরাইখানা, পানশালা। কাউবয়রা দূরপথ পাড়ি দিতে এই শহরেই রাত কাটায়, ফুর্তি-টুর্তি করে। সকালে চলে যায় গন্তব্যে। জন ওয়েন, ক্লিন্ট ইস্টউড, চার্লস ব্রনসন বা গ্রেগরি পেকদের এই সব শহরের শয়তানদের সঙ্গেই মারপিট হয়েছে বেশি। সংঘর্ষ হয়েছে অন্য জায়গায়ও। কাহিনি অনুযায়ী। সব কাউবয়ের হাতেই অস্ত্র থাকে। আগ্নেয়াস্ত্রকে ওরা সোজা বলে ‘গান’। এই কালচারে দুই ধরনের মানুষ। কাউহ্যান্ড, মানে নিরীহ রাখাল আর গানহ্যান্ড, মানে অস্ত্রসহ কাউহ্যান্ড। আর আরেক দল থাকে দাঙ্গাবাজ। খুন-খারাবি-লুটতরাজ করাই তাদের কাজ। তাদের বলা হয় ‘আউট ল’! মজার ব্যাপার, এই নিরীহ বা দাঙ্গাবাজ, কারোরই অস্ত্রের লাইসেন্স নেই। আমাদের ওয়েস্টার্ন হিরোরা বেশির ভাগ মুভিতেই ঘটনাচক্রে জড়িয়ে গিয়েছিল এই দাঙ্গাবাজদের অভয়ারণ্যে। তারাও আউট ল ছিল। এই হিরোরা খুন-লুট করতে গিয়েই ভালো-খারাপের দ্বন্দ্বে খারাপের বিপক্ষে দাঁড়ায়, অর্থাৎ মন্দের মধ্যেই ভালো-মন্দের দ্বন্দ্ব। কাউবয় মুভিগুলোর মূল থিমই ছিল, খারাপের ওপর ভালোর বিজয়। নিষ্ঠুর হৃদয়ে বিবেকের জাগরণ।হলিউড-কাঁপানো ‘ম্যাকেনাস গোল্ড’-এর ট্রেলার দেখেই স্কুলের বন্ধুরা লাফ দিয়ে উঠি। তখন বিটিভিতে সিরিয়াল ‘সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান’ আর ন্যাড়া মাথায় ললিপপ চোষা ডিটেকটিভ ‘কোজাক’কে দেখি। ‘ম্যাকেনাস গোল্ডে’, ‘কোজাক’ মানে অভিনেতা টেলি স্যাভালাস আছে। আরও ছিল ওমর শরিফ, গ্রেগরি পেক। আমার চাচাতো-ফুপাতো বোনেরা ওমর শরীফ-ওমর শরীফ বলে পাগল ছিল। আমি ভাবতাম শশী কাপুর-টাইপ ভারতীয় কোনো হলিউড অভিনেতা। পরে জেনেছি, মিসরের। হ্যান্ডসাম হিরো। ত্রিমুখী অ্যাডভেঞ্চারের মজার ওয়েস্টার্ন মুভি ‘ম্যাকেনাস গোল্ড’। তিনবার দেখেছি। এক নিশ্বাসে দেখা যায় পুরো মুভি।কাউবয় মুভির আউট ল হিরোদের সবকিছুই ডায়নামিক। দৃষ্টি শার্দূলের, ক্ষিপ্রতা চিতার। মুহূর্তে কখন যে রিভলবার কোমর থেকে হাতে উঠে আসবে, চোখে দেখা যাবে না। লক্ষ্য অভেদ্য। নিজের সুতীক্ষ্ণ নিশানা দেখাতে কেউ কেউ দূরে মদের বোতলে গুলি করবে, বোতলের ছিপি খুলে যাবে, বোতল থাকবে অক্ষত! তালি দিয়ে উঠবে সবাই।ছোট্ট কারণেই আউট লদের মধ্যে শুরু হতে পারে ভয়াবহ গোলাগুলি। তাসের জুয়া খেলছে চার বন্ধু। চুরি চলছে ম্যাজিশিয়ানদের মতো। কেউ চেয়ারের নিচ থেকে বের করছে টেক্কা, কেউ টেবিলের নিচ থেকে আলগোছে বের করছে কুইন। ধরা পড়ল, তো শুরু হয়ে গেল ধুড়ুম ধুড়ুম ফায়ার!কাউবয় মুভির দেখার মতো ফাইট হচ্ছে ডুয়েল ফাইট। মানে, দুজনের মুখোমুখি ফাইট। হাতাহাতি না, রিভলবারের। এ ডুয়েল দেখতে নিরাপদ দূরত্বে উৎসাহী দর্শকেরাও জড়ো হন কখনো কখনো। নির্দিষ্ট দূরত্বে মুখোমুখি দাঁড়ায় দুজন। স্থির দৃষ্টি, হাত কোমরের রিভলবারের বাঁটে। হঠাৎ ধুরুম! যে আগে তীক্ষ্ণ নিশানায় প্রতিপক্ষকে ফেলে দিতে পারবে, সে-ই জয়ী। ডুয়েলে হারা মানে স্বর্গে চলে যাওয়া।একটা মজার ডুয়েলের কথা আমার এখনো মনে আছে। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ মুভিতে ক্লিন্ট ইস্টউডের সঙ্গে অন্য দুজনের। বিষয়টা ছিল ট্রায়াঙ্গুলার। ত্রিমুখী। অভিসার হলে হচ্ছিল ডুয়েলটি। আসলে ঘোষিত ডুয়েল না। তিনজনের বারগেইন চলছে একটা কবরস্থানে দাঁড়িয়ে। সবার হাত কোমরের রিভলবারের বাঁটের কাছাকাছি। প্রায় পাঁচ মিনিটের এই অ্যাকশন ম্যুডের কথোপকথনে পুরো হলে পিনপতন নীরবতা। হঠাৎ একজন রিভলবারে হাত দিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালাল ক্লিন্ট ইস্টউড। ফ্র্যাকশন অব সেকেন্ডে। পড়ে গেল ও খুঁড়ে রাখা কবরের পাশে। ইগলের চোখে দাঁড়ানো প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে ক্লিন্ট। পড়ে থাকা প্রতিপক্ষ শোয়া অবস্থায়ই আবার অস্ত্র তাক করল ক্লিন্টের দিকে। ওর দিকে না তাকিয়েই দ্বিতীয়বার শুট করল ক্লিন্ট ইস্টউড। গড়িয়ে বেচারা পড়ে গেল কবরের মধ্যে। পুরো হলের চেয়ার সব ক্যাঁচ ক্যাঁচ করে উঠল, অর্থাৎ এতক্ষণ টেনশনে সবাই স্থির ছিল, এখন রিল্যাক্সড। তাই চেয়ারের সম্মিলিত ক্যাঁচ ক্যাঁচ। পয়সা উশুল।এত কিছুর মধ্যেও এই সব জনপদে আছে আইনের রক্ষক। শেরিফ ডাকা হয় তাকে। অনেকটা থানার ওসি যেমন, তেমন। তার শার্টের বুকে ঝোলে ধাতব স্টার। তা দেখেই সবাই শেরিফকে চেনে। যত বড় মাস্তান আউট ল-ই হোক, শেরিফকে এড়িয়ে চলে। আইনের লোক সে জন্য না, সেরের ওপরে সোয়া সের, তাই এই পদে বহাল হয়েছে শেরিফ।আউট লদের নিজস্ব কিছু আইনও ছিল। যেমন কারও পিঠে গুলি করা যাবে না। পিঠে গুলি করা মানে, সে তো ডুয়েল লড়তে আসেনি। ওয়েস্টার্ন কাউবয়দের জগতে কাপুরুষের জায়গা নেই। দুর্ধর্ষ আর নিষ্ঠুর হলেও নারীদের প্রতি ছিল সব কাউবয়ের অগাধ সম্মান। মেয়েদের অপমান করলে তার শাস্তি মৃত্যু। সে যে-ই হোক। বেদ বাক্যের মতো ওয়েস্টার্ন জনপদের আইন, ‘এখানে মেয়েরা সম্মানিত!’এক মুভিতে দেখেছিলাম ট্রেনিং দেওয়া ঘোড়া দাবড়িয়ে বুনো গরুর পাল তাড়িয়ে নিজেদের র্যাঞ্চের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কাউবয়রা। সে এক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য। ট্রেইনড ঘোড়া দাবড়িয়ে বুনো ঘোড়া ধরার দৃশ্য আরও মজার। দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে বুনো ঘোড়াকে রশির লুপ ছুড়ে ধরে পোষ মানানো হয়। দড়ির এই লুপকে বলে ‘ল্যাসো’। ওয়েস্টার্ন মুভিতে উন্নত জাতের স্ট্যালিয়ন, এপালুসা বা মাসট্যাং-জাতীয় ঘোড়া ব্যবহার হয়েছে বেশি। এই ঘোড়াগুলো পরিশ্রমী, আর পাহাড়-মাটি-পানিতে সমান দৌড়ায়।বাংলাদেশে দেওয়ান নজরুল ‘দোস্ত দুশমন’ ছবি দিয়ে ওয়েস্টার্ন মুভির আদলে ছবি নির্মাণে সফল হন। পরে তৈরি করেন আরেক ওয়েস্টার্ন ধাঁচের মুভি ‘আসামি হাজির’। এই মুভিগুলো নির্মাণে তাঁর সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন জসিমের জ্যাম্বস গ্রুপ। কিন্তু ওয়েস্টার্ন কাউবয় মুভিতে যে বিশাল সেট আর আয়োজনের দরকার, তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সে সময়ে সম্ভব হয়নি। তবুও তাঁর এই দুঃসাহসিক চেষ্টাকে সাধুবাদ দিতেই হবে।একটা কাউবয় মুভি দেখলাম মধুমিতা হলে, ‘কিল দেম অল অ্যান্ড কাম ব্যাক অ্যালোন’। খুব ভালো লাগল। বড় ভাইয়ের বন্ধু শেলি ভাইকে বললাম। শুনে মিটিমিটি হাসলেন। তিনিও দেখেছেন মুভিটি। হেসে কুইজের স্টাইলে বললেন, ‘এই মুভিতে একটা জিনিস কখনো দেখা যায় নাই। বল তো, সেটা কী?’ চিন্তায় পড়লাম। বললাম, ‘নদী।’ বললেন, ‘উঁহু।’ বললাম, ‘রাইফেল।’ বললেন, ‘উঁহু।’ বললাম, ‘ল্যাসো দিয়ে ঘোড়া ধরা।’ বললেন, ‘উঁহু। চলো আজকে তোমাকে আবার ছবিটা দেখাই।’ বুঝলাম তাঁরও দ্বিতীয়বার মুভিটা দেখার ইচ্ছা। মধুমিতা হলে ছবি শুরুর আগে আগে ফিসফিসিয়ে বললেন, ‘এই মুভিতে কোনো অভিনেত্রী নাই। খুব মনোযোগ দিয়ে দেখো।’হায় হায়! টর্চ লাইট দিয়েও কোনো অভিনেত্রী খুঁজে পেলাম না। আরে? আগে তো খেয়াল করিনি? অভিনেত্রী ছাড়া মুভি হয়?কয়েনের উল্টো পিঠও আছে। হঠাৎ করেই টাইট জিনস আর ফেল্ট হ্যাটে ঢাকায় উপস্থিত হয়ে গেল কাউগার্ল মুভি ‘জেসিজ গার্লস’! এক ধর্ষিত মেয়ের কাহিনি। ধর্ষিত হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে হয়ে উঠল দুর্ধর্ষ ও ভয়ংকর ওয়েস্টার্ন আউট ল! যেন হুবহু ‘দস্যু ফুলন দেবী’র জীবনকাহিনি।তাহলে কি দস্যু ফুলন দেবী চুপি চুপি মধুমিতা হলে এসে ‘জেসিজ গার্লস’ দেখেছিলেন? | 373,243 |
-1 | sports | খেলা | ১৮ মে ২০১৪, ০৩:১১ | ১৮ মে ২০১৪, ০৩:১৪ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল,বিশ্বকাপ ফুটবল | 0 | ফ্রান্সের রত্ন রিবেরি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/219283 | জিদানের ছায়াতেই ঢাকা পড়ে থাকার কথা ছিল তাঁর। সেটা হলে অবশ্য আজকের ফ্রাঙ্ক রিবেরি তিনি হতে পারতেন না। হতে দেননি রিবেরি নিজেই। ২০০৬ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে স্পেনের বিপক্ষে সেই গোলটি করে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম গোল, ম্যাচটাও জিতল ফ্রান্স। তবে এসব কিছু নয়, রিবেরির বড় অর্জন ওই ম্যাচের পরে খোদ জিদানের কাছ থেকে পাওয়া সনদ, ‘ছেলেটা ফরাসি ফুটবলের রত্ন।’রত্ন অনেক রকমের হয়। রিবেরি হয়তো ছিলেন হীরা। যে হীরায় তখনো খনির রুক্ষতা থেকে গিয়েছিল। পরের আট বছরে অভিজ্ঞতার ঘর্ষণে যা মসৃণ থেকে মসৃণতর হয়েছে। সুবাদে শুধু ফ্রান্স নয়, বিশ্ব ফুটবল পেয়েছে চকচকে-ঝলমলে রিবেরিকে। ব্রাজিল বিশ্বকাপেও যিনি প্রস্তুত সেই আলো ছড়াতে।রুক্ষ হীরা থেকে মসৃণ হয়ে ওঠার মতো তাঁর জীবনের গল্পটাও। মাত্র দুই বছর বয়সে ভয়ংকর এক সড়ক দুর্ঘটনায় মুখ প্রায় থেঁতলে গিয়েছিল। সেই শিশুমুখেই এক শর বেশি সেলাই পড়েছে। সেরে উঠেছেন ঠিকই, বয়সের সঙ্গে মুখের সেই ক্ষতচিহ্নও মিলিয়েছে। তবে সবটা নয়। মুখের ডান দিকে আর ভ্রুর ওপরে কয়েকটা দাগ এখনো সাক্ষী হয়ে আছে ছোটবেলার সেই ভয়াবহ স্মৃতির।সেটা অবশ্য রিবেরির ফুটবলার হওয়া ঠেকাতে পারেনি। নিজের শহরের ক্লাব কোনতিল বোলোনিয়ায় প্রথম পাঠ, তবে পেশাদার ফুটবলে পা রেখেছিলেন ফরাসি ক্লাব লিলের হয়ে। সেখান থেকে ইউএস বোলোনিয়া, আলিস, ব্রেস্তোয়িস, মেৎজ, তুরস্কের ক্লাব গ্যালাতাসারাইয়ের পরে মার্শেই। ফরাসি এই ক্লাবেই প্রথম পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন রিবেরি। প্রথম মৌসুমেই ক্লাবকে ফরাসি কাপের ফাইনালে তুললেন। তত দিনে ২০০৬ বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এসেছে। পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে কোচ রেমন্ড ডমেনেখও রিবেরিকে জায়গা দিলেন বিশ্বকাপ দলে। তারপর স্পেনের বিপক্ষে প্যাট্রিক ভিয়েরার পাস থেকে সেই গোল।বিশ্বকাপের পর আর একটা মৌসুম মাত্র ছিলেন মার্শেইয়ে। নতুন ঠিকানা হলো বায়ার্ন মিউনিখ এবং সেখানেই ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটছে ফরাসি উইঙ্গারের। জার্মান ক্লাবের হয়ে চারটি বুন্দেসলিগা জিতেছেন। গত বছর বায়ার্নের ট্রেবল জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখে হয়েছেন ইউরোপের সেরা ফুটবলার, ছিলেন ব্যালন ডি’অরের সেরা তিনেও। জিদান যাঁকে ‘ফ্রান্সের রত্ন’ বলেছিলেন সেই রিবেরিকে এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা উইঙ্গার বলছেন অনেকেই। বিশ্বকাপে দিদিয়ের দেশমও তাই তাকিয়ে তাঁর দিকে।২০০৬ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ছন্দপতন হয়েছে। দুই বছর পর ইউরোতে নিষ্প্রভ ছিলেন রিবেরি, ফ্রান্সও বিদায় নিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। তারপর ২০১০ বিশ্বক্লাপ তো দুঃস্বপ্ন হয়ে আছে ফ্রান্সের জন্য। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দেশে ফেরার পর ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশনের তদন্ত কমিটির সামনেও বসতে হয়েছে। তবে বায়ার্নের হয়ে গত দুটি মৌসুম সব ভুলিয়ে দিয়ে এখন তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে দারুণভাবে। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দেশমকে পেয়েও নাকি দারুণ সুবিধা হয়েছে তাঁর, ‘তিনি আমাকে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমি নিজের পছন্দের পজিশনে খেলতে পারছি। যে স্বাধীনতাটুকু ২০০৬ সালে পেয়েছিলাম।’পছন্দের কোচ পেয়েছেন, খেলতে পারছেন নিজের পছন্দের জায়গায়। বায়ার্নের হয়ে পারফরম্যান্সটা কি এবার জাতীয় দলে রূপ দিতে পারবেন রিবেরি? রয়টার্স। | 74,073 |
ইফতেখারুজ্জামান | opinion | মতামত | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০৬ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৩৪ | মতামত,মত দ্বিমত,ইফতেখারুজ্জামান,রাজনীতি,লেখকের কলাম | null | ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়াই মুখ্য | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/148773 | সুশাসন নিয়ে গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) পক্ষ থেকে যে গবেষণার কাজটি হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যথার্থ চিত্রই উঠে এসেছে এই গবেষণা প্রতিবেদনে। সুশাসন বলতে স্বাভাবিকভাবে আমরা বুঝি স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, আইনের শাসন ও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা, যেখানে সব শ্রেণীর নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত থাকবে এবং তাদের স্বার্থের বিষয়টির প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত না হলে সুশাসনের ক্ষেত্রে ঘাটতি থেকেই যাবে। ফলে যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে তা নতুন নয়, ধারাবাহিকভাবেই এ অবস্থা চলে আসছে।সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে আমরা যে যাত্রা শুরু করেছিলাম, তার কাঠামোগুলো কিন্তু রয়েছে। যেমন সংসদ, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন বা দুদক—এগুলো সবই আছে। এগুলোকে আমরা হার্ডওয়্যার হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। এই হার্ডওয়্যারগুলো আমাদের রয়েছে কিন্তু এর চর্চা বা এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। সমস্যাটি সেখানেই।গবেষণা প্রতিবেদনে আইনের শাসন নিয়ে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। তবে সেখানে বিশ্লেষণ নেই। জনগণ বলছে, তাদের আস্থা কমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগের ওপর। আবার র্যাবের ওপর বেড়েছে। এটা এক অশনিসংকেত। আমরা বুঝতে পারছি যে পুলিশ ও বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার কারণ তারা এদের মাধ্যমে কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। আইন লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার কাজটি র্যাবের কাছ থেকে পাচ্ছে। এটা প্রচলিত বিচারব্যবস্থার প্রতি চরম আস্থাহীনতারই প্রমাণ দিচ্ছে। সুশাসনের জন্য এটা খুবই উদ্বেগজনক তথ্য। কারণ, যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিচার-প্রক্রিয়া লঙ্ঘন ও বিচারবহির্ভূত কাজের অভিযোগ রয়েছে, তার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ছে! এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা যাকে বলি ‘ট্রিগার হ্যাপিনেস’ তা আরও বাড়াতে পারে। এতে প্রচলিত প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন দিন দিন আরও আস্থাহীন হয়ে পড়বে, তেমনি মানুষের মধ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতাও বাড়তে পারে। আইনের শাসনের জন্য এটা খুবই উদ্বেগজনক।শুধু এই গবেষণা নয়, আমরা বিভিন্ন গবেষণায় দেখে আসছি যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা কমছে।এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। একজন সাংসদ যদি কোনো অপরাধীকে ছাড়িয়ে নিতে অনশন করেন, নারায়ণগঞ্জের এক সাংসদ যদি জনগণকে কর না দেওয়ার আহ্বান জানান বা চিফ হুইপ যদি ক্রেস্টের বদলে ক্যাশ দাবি করেন, তবে রাজনীতিবিদদের প্রতি খুব স্বাভাবিকভাবেই জনগণের আস্থা কমতে থাকবে। পত্রিকায় দেখলাম চার সাংসদ একই সঙ্গে মেয়র পদ ধরে রেখেছেন। এসব কর্মকাণ্ডে ক্ষমতার প্রতি তাঁদের মোহের বিষয়টি চরমভাবে প্রকাশ পায়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহতভাবে চলতে থাকায় রাজনীতিবিদদের প্রতি জনগণের আস্থা কমছে।সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় ও কার্যকর থাকা জরুরি, সেগুলো তাদের কর্মক্ষমতা হারিয়েছে ও হারাচ্ছে দলীয়করণের কারণে। রাজনৈতিক শক্তি নিজেদের স্বার্থে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান পেশাদারি হারাচ্ছে এবং নিজেদের মতো কাজ করতে পারছে না। এর ফলাফল হিসেবে অন্যায় ও অপকর্ম করে পার পাওয়া সহজ হচ্ছে, অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না, সাধারণ মানুষ বিচার পাচ্ছে না। একটা বিচারহীনতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমাজে অপরাধ বেড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।এই যে একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এর কেন্দ্রে রয়েছে রাজনীতির মধ্যে নিজের সুবিধা, নিজের দলের সুবিধা ও নিজের মুনাফা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। রাজনীতির সবকিছুই এখন আবর্তিত হচ্ছে নিজের সুবিধা ও স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে। এই পরিস্থিতি সুশাসন সহায়ক না হয়ে সুশাসন প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে এই অবস্থাকে বাস্তবতা হিসেবে মেনে নেওয়ার বিষয়টি। জনগণ এ ধরনের পরিস্থিতিকে যেন মেনে নিতে শুরু করেছে বা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক যে জনগণ, এই বিষয়টি যেন তারা ভুলতে বসেছে।সুশাসনের মৌলিক ইস্যুগুলো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচ্য বিষয় নয়। ক্ষমতায় থাকা, ধরে রাখা বা যেকোনোভাবে ক্ষমতায় যাওয়াই রাজনীতির মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে নাগরিক সমাজের মধ্যেও একধরনের নিস্পৃহতা ও হতাশা বিরাজ করছে। দলীয় বিভাজনের ঊর্ধ্বে দাঁড়িয়ে কেউ কোনো ইস্যু তুলে ধরলেই তাকে দলীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমালোচক যে শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে, সে বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনায় নেই।আসল কথা হচ্ছে, যত দিন ক্ষমতা ও রাজনৈতিক অবস্থান ব্যক্তিগত সুবিধা ও মুনাফা অর্জনের পথ হিসেবে ব্যবহূত হবে এবং বিচারহীনতার মাধ্যমে আইনের শাসন পদদলিত হবে, তত দিন সুশাসন মরীচিকা হয়েই থাকবে। ইফতেখারুজ্জামান: নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। | 52,104 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ মার্চ ২০১৯, ২১:৩৩ | ১২ মার্চ ২০১৯, ১০:৫০ | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,রাজনীতি,বিএনপি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,ছাত্র সংসদ নির্বাচন | null | ডাকসুতে ৩০ ডিসেম্বরের পুনরাবৃত্তি হলো | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1582984 | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে মুখপাত্র মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।আজ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। ছাত্রলীগ বাদে অনিয়মের অভিযোগে প্রায় সব সংগঠন ভোট গ্রহণের শেষ পর্যায়ে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ছাত্রদলও এ নির্বাচন বাতিলের দাবি করে।আজ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে এখানেও ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি জাতি দেখল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি ছাত্র সংগঠনের ভোট ডাকাতি, গুন্ডামি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করেছে। যে অনিয়ম ঘটেছে আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আবারও প্রমাণিত হলো আসলে নির্বাচনব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি।’গতকাল রোববার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা নির্বাচন। এ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সেখানেও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়নি। মানুষ নীরব প্রতিবাদ হিসেবে ভোট দিতে যায়নি। আজ বিকেল চারটার পর ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ড. কামাল হোসেন বলেন, কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষা করতে ঐক্যকে সুসংহত করার কোনো বিকল্প নেই। মানুষের মধ্যে যে উদ্বেগ আছে উল্লেখ করে জোটের আহ্বায়ক বলেন, ‘ধরপাকড় যেসব হয়েছে, এসব ব্যাপারে জনগণের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষা করতে হলে এবং কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তার জন্য জনগণের ঐক্য অপরিহার্য। মুষ্টিমেয় লোক বাদ দিয়ে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে অধিকাংশ কিন্তু এসব ব্যাপারে ইতিবাচকভাবে তারা অবস্থান নিয়েছে, নেবে। এই শক্তির ওপর ভর করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নেব।’মির্জা ফখরুল বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান। জনগণের সঙ্গে গণসংযোগের জন্য তাঁরা বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সভার আয়োজন করবেন।ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদে শপথ নেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। তাঁর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি শপথ নিয়েছেন। তিনি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সাংসদ হিসেবে সুলতান মনসুরের সদস্য পদ দেওয়াকে অবৈধ, বেআইনি বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।। তিনি বলেন, সুলতান মনসুরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য তিনি নন। এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।খালেদা জিয়ার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যে হাসপাতালে তিনি যেতে চান না, সে হাসপাতালেই তাঁকে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি মনে করেন যে এর আগে সেখানে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হয়নি। চিকিৎসা শেষ না করেই তাঁকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তাঁর পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হোক এবং অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।’ এ ছাড়া সারা দেশে মিথ্যা মামলা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হয়রানি বন্ধ করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেন।সরকার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্ট জানায়, মূল্য বৃদ্ধি হলে জনগণের ওপর চাপ তৈরি করবে। তাঁরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্য দাবি জানান। | 393,331 |
বাসস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:২৯ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:৪০ | সরকার | null | নিখোঁজ যুবকেরা ঘরে ফিরছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1042135 | স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী বাহিনীগুলো তৎপর থাকায় নিখোঁজ যুবকেরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। মন্ত্রী আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে যুবকেরা আত্মগোপন করেছিল বা নিখোঁজ হয়েছিল, তারা ঘরে ফিরছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত নিখোঁজ যুবকদের খোঁজ করে তাদের সন্ধান পায় সংশ্লিষ্ট বাহিনী। জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার সন্দেহে তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হয়।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত রাতে পলাশী এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার ওপর গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত আলোর মুখ দেখে না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আদৌ সত্য নয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর সব ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবস্থা গ্রহণের রিপোর্টগুলো মিডিয়ায় আসে না। | 275,055 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৭:১২ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৭:১৩ | শেয়ারবাজার | null | ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1440096 | টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। আজ মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৩ পয়েন্ট। সূচক বাড়লেও গতকালের চেয়ে আরও কমেছে লেনদেন।লেনদেন হয়েছে ৩২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৫০ কোটি টাকা। আজ হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির, কমেছে ১০৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০টির।ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল যেসব কোম্পানি, সেগুলো হলো অলিম্পিক, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, ইউনিক হোটেল, আল আরাফাহ ব্যাংক, কেয়া কসমেটিকস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বেক্সিমকো ফার্মা, ইফাদ অটোজ ও অ্যাপেক্স ফুডস।দর বাড়ার শীর্ষে ছিল যেসব কোম্পানি—ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স, গ্রিন ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রগতি ইনস্যুরেন্স, এসিআই ফরমুলেশন, অ্যাপেক্স ফুডস, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স, লিবরা ইনফিউশন, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, হাওয়া ওয়েল টেক্সটাইল ও মেট্রো স্পিনিং।অপর দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আজ সার্বিক সূচক বেড়েছে ৯৩ পয়েন্ট। মোট লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। | 356,344 |
বগুড়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২২:২৫ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২২:২৯ | অপরাধ | null | পুলিশের সাঁজোয়াযান উঠে পড়ল রিকশায় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/452614 | সংসারে অভাবের কারণে উপার্জনের আশায় হরতালেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন রিকশাচালক আফজাল হোসেন (৫০)। কিন্তু কাল হলো সেটাই। যানবাহনহীন ফাঁকা শহরে চালকের ‘খামখেয়ািলপনায়’ উল্টো দিক থেকে আসা পুলিশের সাঁজোয়াযান (এপিসি) উঠে গেল রিকশায়।অল্পের জন্য রিকশাওয়ালা প্রাণে রক্ষা পেলেও যানের নিচে চাপা পড়ে মুহূর্তেই চুরমার হয়ে যায় রিকশাটি। আহত হয়ে রিকশাচালক আফজাল হোসেনকে যেতে হলো হাসপাতালে।আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের ব্যস্ততম সাতমাথায় শত শত পথচারীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। আফজাল হোসেনের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার কচুয়া গ্রামে।প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক ব্যক্তি জানান, ২০-দলীয় জোটের রোববারের হরতালে শহরের রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রিকশা নিয়ে সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারের গোল চক্কর ঘুরে স্টেশন সড়কের দিকে যাচ্ছিলেন আফজাল। রিকশাটি জিলা স্কুল মোড়সংলগ্ন সাংবাদিক ছাউনীর সামনে আসামাত্র উল্টো দিক থেকে আসা পুলিশবহনকারী সাঁজোয়াযান ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে হঠাৎ সার্কিট হাউস সড়কের দিকে ঘুরতে গেলে রিকশার ওপর তা উঠে পড়ে। এতে অল্পের জন্য আফজাল প্রাণে রক্ষা পেলেও রিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আহত রিকশাচালককে উদ্ধার করে দ্রুত শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শহরের ব্যস্ততম স্থানে সাঁজোয়াযান দিয়ে গিরব মানুষের উপার্জনের অবলম্বনটি চাপা দেওয়ায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা বিব্রত হয়ে পড়েন।আফজাল হোসেন জানান, রিকশাটিই ছিল উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন। পুলিশের গাড়ির িনচে স্বপ্নের রিকশাটি চাপা পড়ে চুরমার হওয়ায় এখন তাঁকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।আবদুল হাকিম নামে একজন পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পুলিশই আইন লঙ্ঘন করে উল্টো পথে সাঁজোয়াযান নিয়ে ঘুরতে গিয়ে একজন নিরীহ গিরব রিকশাচালককে পথে বসিয়েছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর রিকশাটি মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।এ ব্যাপারে পুলিশের সাঁজোয়াযানের চালক সাদেক আলী কোনো মন্তব্য করতে চাননি।বগুড়ার টাফিক সার্জেন্ট নাহিদ পারভেজ চৌধুরী জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আহত রিকশাচালককে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গাজিউর রহমান এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান, গিরব রিকশাচালককে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করে চালক দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 115,390 |
সোহরাব হাসান | opinion | মতামত | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:১৪ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:১৬ | লেখকের কলাম,খোলা কলম,সোহরাব হাসান,রাজনীতি | null | নির্বাচন হবেই! নির্বাচন ঠেকিয়ে দেব! | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/43818 | ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজগঞ্জ থেকে কর্মস্থলে আসছিলেন। হঠাৎ অজ্ঞাত নম্বর থেকে একটি ফোন এল। বলল, ‘আপনি আমার অনেক ক্ষতি করেছেন। আর ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন না। করলে আপনার লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ওসি জানতে চাইলেন, কে বলছেন। ও প্রান্ত থেকে উত্তর এল। শাহীন। তিনি বুঝতে পারলেন, চরমপন্থী দল শ্রমজীবী গণমুক্তি আন্দোলনের মানিকজোড়ের একজন শাহীন। অপরজন মুকুল। তাঁদের নামে কুষ্টিয়াজুড়ে আতঙ্ক। তাঁরা জেলার সব টেন্ডারে ভাগ বসান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। না দিলে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি গুম হয়ে যান কিংবা রাস্তায় লাশ পড়ে থাকেন।ওসি মনে সাহস সঞ্চয় করে বললেন, ‘যেদিন পুলিশের পোশাক পরেছি, সেদিন থেকেই মরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যেকোনো সময় মারা যেতে পারি। তবে শাহীন, আপনাকেও বলে রাখছি, আপনি পালিয়ে থাকলেও আপনার মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন কিন্তু আমার এলাকাতেই আছে। কয়েক দিন পর নির্বাচন। সে সময়ে কোনো অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করবেন না। করলে বিপদ আছে।’এরপর শাহীন নরম হলেন। বললেন, ‘ওসি সাব, আপনাকে আগামীকাল জানাই।’ পরদিন বাবুল সরদারের কাছে আরেকটি টেলিফোন এল। এবারের ফোনদাতা মুকুল। বললেন, ‘ঠিক আছে। আপনার এলাকায় কোনো অঘটন ঘটবে না।’স্বাধীনতার পর থেকেই কুষ্টিয়া সন্ত্রাসের জনপদ। কুমারখালীর সাবেক সাংসদ গোলাম কিবরিয়াকে ঈদের জামাতে গুলি করে হত্যা করে চরমপন্থীরা। সেই থেকে চরমপন্থীদের হাতে এ পর্যন্ত কত লোক মারা গেছে, তার হিসাব নেই। আবার চরমপন্থী ধরার নামে অনেক নিরপরাধ মানুষও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে প্রাণ দিয়েছে। হত্যা কেবল হত্যাই ডেকে আনে।সামান্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যেখানে পাঁচ-দশটা লাশ পড়ে, সেখানে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কুষ্টিয়ায় কেউ খুন হয়নি। এর কৃতিত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের। কিন্তু ২০০৯ সালের আগস্ট মাসের একটি ঘটনা পুরো কুষ্টিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি দরপত্র ডাকার পর সার্কিট হাউসের সামনে তিনটি লাশ ফেলে রেখে যায় চরমপন্থীরা। এর মাধ্যমে তারা বুঝিয়ে দেয় যে তাদের পছন্দসই ব্যক্তি ছাড়া কেউ দরপত্র কিনতে পারবে না। এরপরই এসপি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলে। কয়েক দিনের মধ্যে ২০-২২ জন চরমপন্থী ক্রসফায়ারে নিহত হয়। দলনেতা শাহীন ও মুকুল ভারতে পালিয়ে যান। কুষ্টিয়াবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।সে সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতি মাসে কমিউনিটি কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হতো। এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাওয়া হতো কেউ সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে কি না, কোনো পুলিশ সদস্য উৎকোচ দাবি করেছেন কি না; এলাকাবাসী তাদের অভিযোগ জানাবে। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিকারও পেয়েছে।কুষ্টিয়ার সব কটি উপজেলাই একসময় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ছিল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দৌলতপুরে জনসভা করতে গিয়ে মারা যান কাজী আরেফ আহমেদ। চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ করিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। ফলে চরমপন্থীদের রোষানলে পড়েন। চরমপন্থীদের তৎপরতা এখনো পুরো বন্ধ হয়নি। কয়েক মাস আগে ঢাকার বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ী নেতা রফিকুল ইসলামও খুন হন এই চরমপন্থীদের হাতে। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ড। এ রকম ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক স্বার্থে অনেকেই চরমপন্থীদের ব্যবহার করেছেন, করছেন।প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গত ২৮ আগস্ট দুপুরে কুষ্টিয়ায় পৌঁছাই। ওই দিন সন্ধ্যায়ই প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসানকে সঙ্গে নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমির সঙ্গে আলাপ করি। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, অতীতে কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সদ্ভাব থাকলেও বর্তমান সরকারের আমলে তা নষ্ট হয়ে যায় ক্ষমতাসীনদের হামলা ও মামলার কারণে। মাস কয়েক আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের জের ধরে বিএনপির অফিস ভাঙচুর করা হয়। সাবেক দুই সাংসদসহ নেতাদের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলা হয়। ৬০ থেকে ৭০ জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। অনেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এলেও ১০-১২ জন এখনো জেলে আছেন। মামলা হয়েছে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে।জামায়াতের অবস্থা কী?রুমি বললেন, ‘এখানে জামায়াতে ইসলামীর তেমন তৎপরতা নেই। আমরা বলেছি, তোমরা এলে বেশি সমস্যা হয়। সে কারণে ১৮ দলের কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতি কম।’ আলাপের সময় রুমির কক্ষে অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কুষ্টিয়ায় কী কী কাজ হয়েছে। তাঁদের জবাব, কোনো কাজই হয়নি। কুষ্টিয়াবাসীর প্রধান দাবি ছিল বাইপাস সড়ক ও হরিপুর সেতু। কিন্তু এর একটিও হয়নি। তাঁরা আরও যোগ করলেন, হ্যাঁ, একটিই উন্নতি হয়েছে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ যখনই কুষ্টিয়ায় আসেন, কোনো না কোনো ফলক উন্মোচন করেন। কমপক্ষে ২০০ ফলক আছে তাঁর নামে।তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও স্বীকার করলেন, বর্তমান সরকারের আমলে চরমপন্থীদের তৎপরতা কমেছে।রাতে কথা হয় আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল ইসলামের সঙ্গে। বিএনপির দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বললেন, সরকার এখানে নির্বাচনী ওয়াদার প্রায় সবই পূরণ করেছে। সন্ত্রাসের জনপদ কুষ্টিয়া শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির আমলে যেটি জোর করে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভাড়াবাড়িতে মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষ চলছে। নিজস্ব ভবনও নির্মিত হচ্ছে। হরিপুর সেতু ও বাইপাসের কাজের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।কুষ্টিয়ার একজন সাংবাদিক বন্ধু জানালেন, এই সেতু না হওয়ায় হরিপুরের লক্ষাধিক মানুষ প্রায় বিচ্ছিন্ন। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার লোক নদী পার হয়ে নানা কাজে শহরে আসেন। তাঁরা না এলে কুষ্টিয়ায় হরতাল হয়ে যায়। নির্বাচনের আগে দুই দলই সেতু করার ওয়াদা করে। কিন্তু বাস্তবায়ন করে না।কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও মাঠপর্যায়ে দুই দলই তৎপর। আওয়ামী লীগের নেতারা গণসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত। আর বিভিন্ন উপলক্ষে বিএনপি সভা-সমাবেশ করে চলেছে। আবার নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় কোন্দলও বেড়েছে।আগামী নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনের ফল কী হতে পারে? জবাবে বিএনপির নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ একটি আসনও পাবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের এক নেতা বললেন, অন্তত দুটিতে তাঁরাই জিতবেন। দুই দলেই প্রার্থিতা নিয়ে চলছে গ্রুপিং-লবিং। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগেই সমস্যা বেশি। দৌলতপুরে বর্তমান সাংসদ আফাজউদ্দিন আহমদ বদনাম করেছেন ছেলেদের নানা অপকর্মের জন্য। ছেলেরা শুরু থেকেই টেন্ডারবাজি ও দখলবাজিতে ব্যস্ত আছে। সদর আসনের সাংসদ খন্দকার রশীদুজ্জামান গুরুতর অসুস্থ। ঢাকায় থাকেন। তিনি নাকি মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর মাত্র তিন-চারবার এলাকায় এসেছেন। অসুস্থতার সুযোগে তাঁর স্ত্রী ও সহযোগীরাই কাবিটা ও কাবিখার অর্থ বণ্টন করেন। এ নিয়েও প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।এ আসনে বিএনপির শক্ত প্রার্থী সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি। তবে জাকির হোসেন নামের একজন তারেক রহমানের আশীর্বাদ নিয়ে সম্প্রতি মাঠে নেমেছেন। এ দুজনের যে-ই মনোনয়ন পান না কেন, তাঁকে মোকাবিলা করার মতো প্রার্থী আওয়ামী লীগে নেই। তবে সমর্থকদের কেউ কেউ আমীর-উল ইসলামের কথা বলছেন। ২০০৭ সালে তিনি দলের মনোনয়ন পেলেও এক-এগারোর পরিবর্তন সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। ভাগ্য খুলে যায় রশীদুজ্জামানের।কুষ্টিয়া-২ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ চায় মাহবুব উল আলম হানিফ প্রার্থী হোন। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম। তাঁর বিরোধী গ্রুপও কম তৎপর নয়। কুষ্টিয়া-৪ আসনের প্রার্থিতা নিয়ে দুই দলেই বিরোধ প্রকট। আওয়ামী লীগের সাংসদ সুলতানা তরুণের বিপরীতে সদরউদ্দিন খান মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তিনি দলের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও খোকসা উপজেলার চেয়ারম্যান। আর বিএনপির রুমীর বিপরীতে নূরুল হক আনসার শক্ত প্রার্থী। তাঁর পক্ষে জামায়াতের জোরালো সমর্থন আছে বলেও জানা গেছে।কুষ্টিয়ায় দুই দলের উপদলীয় কোন্দল সম্পর্কে বিএনপির এক নেতার মন্তব্যটি বেশ মজার। তিনি বলেছেন, ‘যখন ওয়াজ-নসিহত হয়, তখন সবাই মনোযোগ দিয়ে শোনে। কিন্তু ওয়াজ শেষে শিরনি দিলেই কে আগে নেবে, তা নিয়ে মারামারি শুরু হয়ে যায়।’আগামী নির্বাচন নিয়ে এ মারামারির ঘটনা যে হরদম ঘটে চলেছে, গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতার দুটি ছবিই তার প্রমাণ। ওপরের ছবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপকে ধারালো অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে, আর নিচের ছবিতে রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপ হাতাহাতিতে লিপ্ত। এটাই হলো দুই বড় দলের গণতন্ত্র চর্চার নমুনা।নির্বাচন কীভাবে হবে? এর জবাবে কুষ্টিয়ার আওয়ামী লীগের নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সুরেই বলছেন, ‘নির্বাচন হবেই এবং বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে।’ জিজ্ঞেস করলাম, বিএনপি যদি নির্বাচন করতে না দেয়? জবাব এল, ‘ওরা পারবে না। নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি ওদের নেই। জামায়াত-হেফাজতকে নিয়ে যেহেতু তারা আন্দোলন করছে, সেহেতু জনগণও তাদের ডাকে সাড়া দেবে না।’তবে কুষ্টিয়ার বিএনপির নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের দাবি, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়েই সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। বিএনপি বা ১৮ দলকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে চাইলে আমরা ঠেকাব। সেই নির্বাচন করতে দেব না।’আগামীকাল: মোহিনী মিল, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় না আত্মঘাতী বাঙালি?সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।sohrab03@dhaka.net | 13,788 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা; পাথরঘাটা ও খুলনা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৩:২৫ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৩:২৬ | অপরাধ | 0 | পাথরঘাটায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর, বটিয়াঘাটায় সংঘর্ষে আহত ১৫ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/772285 | ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা ও খুলনার বটিয়াঘাটায় গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এক প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন। তাঁরা আজ বুধবার পাথরঘাটা শহরে হরতাল ডেকেছেন।এদিকে বটিয়াঘাটায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।পাথরঘাটার চরদুয়ানি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গতকাল ভোট গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন এক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও তাঁর সমর্থকেরা। মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই প্রার্থীর নাম আবদুর রহমান ওরফে জুয়েল। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং চরদুয়ানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।দলীয় সূত্র জানায়, চরদুয়ানি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করার জন্য গতকাল বিকেলে পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজে তৃণমূল নেতাদের ভোটাভুটি হয়। এ পদে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থী দুজন। তাঁদের একজন আবদুর রহমান, অন্যজন সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ। এতে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটির ১৮ এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কমিটির ৬৫-সহ ৮৩ সদস্যের মধ্যে ৮০ জন ভোট দেন। দুই প্রার্থীই সমানসংখ্যক ৩৯টি করে ভোট পান। দুটি ব্যালট অস্পষ্ট ছিল।আবদুর রহমান অভিযোগ করেন, ওই দুটি ব্যালটের একটিতে হাফিজউদ্দিনকে ভোট দেওয়া হয়েছে দেখিয়ে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অভিযুক্ত করেন।সূত্র জানায়, হাফিজউদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণার পরপরই আবদুর রহমানের সমর্থকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা কলেজে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন। পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ এবং গোলচত্বর এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত শহরে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ করে আজ বুধবার পাথরঘাটা শহরে পূর্ণদিবস হরতালের ডাক দেন আবদুর রহমান।সমাবেশে আবদুর রহমান অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভোটে কারচুপি করে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছেন।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ভোটে কোনো কারচুপি হয়নি। আবদুর রহমানের অভিযোগ মিথ্যা।সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট হয়েছে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি।’ আবদুর রহমানকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ সন্ত্রাসীদের পছন্দ করে না।’বটিয়াঘাটায় সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল ছিল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রার্থী চূড়ান্ত করার নির্ধারিত দিন। সকাল থেকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মিছিল নিয়ে বটিয়াঘাটা বাজারে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।প্রার্থী বাছাইয়ের একপর্যায়ে গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাদীউজ্জামান হাদী এবং সুরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম ফরিদ রানার নেতৃত্বে প্রতিবাদ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আশরাফুল আলম, ভান্ডারকোর্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা উবায়দুল্লাহ, মিজানসহ অন্যরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।বটিয়াঘাটা থানার ওসি মামুন-উর রশীদ বলেন, ইউপির প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ভেতরে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। পরে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। | 202,475 |
কূটনৈতিক প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জুলাই ২০১৭, ০২:৪০ | ০৬ জুলাই ২০১৭, ০২:৪১ | -1 | 0 | মালয়েশিয়ায় ধরপাকড় এখনো চলছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1240311 | মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অব্যাহত আছে। গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার আলাদা অভিযানে বাংলাদেশিসহ ২৩১ জনকে আটক করা হয়েছে।অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের অস্থায়ী কাজের সুযোগ দিয়ে বৈধতা দেওয়ার বিশেষ কর্মসূচি ই-কার্ডে (এনফোর্সমেন্ট কার্ড) নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধনে ব্যর্থ শ্রমিকদের তাঁদের দেশে পাঠানো হবে। মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলীর বরাত দিয়ে দেশটির নিউ স্ট্রেইট টাইমস গতকাল এ খবর জানিয়েছে।গত ৩০ জুন মধ্যরাতে শুরু হওয়া অবৈধ শ্রমিকবিরোধী অভিযানে গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৭৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি ৮ শতাধিক।বিপুলসংখ্যক বিদেশি শ্রমিক অবৈধ হয়ে গ্রেপ্তারের শিকার হওয়ায় নিয়োগ কর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়া ও মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন তানাগানিতা। মালয় মেইল অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়ার সভাপতি আখবার সাতার বলেন, অভিবাসন আইন অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসনের দায়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন নিয়োগ কর্তাদের ১০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড যথেষ্ট নয়। এসব নিয়োগ কর্তা যা করছেন, তা অবধারিতভাবে মানব পাচারের শামিল, সে তুলনায় তাঁদের লঘু শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।আখবার সাতারের মতে, যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সে জন্য শ্রমিকদের বেশি দুর্ভোগ পোহানোটা রীতিমতো অন্যায়। কারণ এ ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তাদেরও দায় আছে। নিজেদের শ্রমিকদের নিবন্ধন করানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরও সুযোগটা এসব নিয়োগ কর্তা নষ্ট করেছেন। বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সময় কেন মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যবহার করা হয়, সেটি অভিবাসন দপ্তরের খতিয়ে দেখা উচিত।তানাগানিতার পরিচালক এজিল ফার্নান্দেজ মনে করেন, আটক বিদেশি শ্রমিকদের অনেকেই মানব পাচারের শিকার হওয়া লোকজন হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন। আটক লোকজনের কাজের অধিকারের পাশাপাশি মানবাধিকারের বিষয়টি অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। কারণ তাঁদের বেশির ভাগ বাঁচার তাগিদে মালয়েশিয়ায় এসেছেন।গতকাল বারনামার খবরে বলা হয়, সেলানগর প্রদেশের কোটা কুমেনিংয়ে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকবিরোধী অভিযানের সময় অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী গতকাল সাংবাদিকদের জানান, ই-কার্ড জালিয়াত চক্রের বিরোধী অভিযানে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৫৬ জন অবৈধ বিদেশি শ্রমিক এবং স্থানীয় দুই নিয়োগ কর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক বিদেশিরা বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের নাগরিক।কুয়ালালামপুরে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকবিরোধী অভিযানে গত মঙ্গলবার ৫০ জন নারী ও ২৫ জন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫২, বাংলাদেশের ১৫, মিয়ানমারের ৫, চীনের ২ ও থাইল্যান্ডের ১ জন নাগরিক রয়েছেন। | 324,504 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৯ জুলাই ২০১৫, ১৯:০৬ | ২৯ জুলাই ২০১৫, ১৯:২৭ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | ৭ উইকেট পেলেই কপিল–ক্যালিসদের ক্লাবে সাকিব | http://www.prothom-alo.com/sports/article/587968 | কপিল দেব। সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে নমস্য। জ্যাক ক্যালিস। অন্তত পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদেরই একজন। সেই কপিল-ক্যালিসদের অভিজাত একটি ক্লাবে মিরপুর টেস্টেই ঢুকে যেতে পারেন সাকিব আল হাসান। দরকার আর মাত্র সাতটি উইকেট! সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই অর্জন ছুঁতে চলেছেন সাকিব।যে ক্লাবে আছেন হাতে-গোনা মাত্র কয়েকজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের ডাবল আছে মাত্র ৫ জনের। কপিল-ক্যালিসের নাম তো আগেই শুনেছেন। বাকি তিনজন হলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া, শহীদ আফ্রিদি ও ক্রিস কেয়ার্নস। চট্টগ্রাম টেস্টের একমাত্র ইনিংসে ৪৭ রান করার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ হাজার রান পূর্ণ হয়েছে সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেট এখন ৩৯৩টি।৪১ টেস্টে প্রায় ৪০ গড়ে ২ হাজার ৭৮৮ রানের পাশাপাশি ১৪৭টি উইকেট পেয়েছেন। ১৫৬টি ওয়ানডেতে ৩৫.৩৩ গড়ে ৪ হাজার ৩৮২ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ২০১টি উইকেট। ৩৮টি টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের রান ৮৪৩, উইকেট ৪৫টি। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনি। ওয়ানডের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হতে চাই আর মাত্র ৬টি উইকেট।একই ক্লাবে আছেন বটে। তবে রানের দিক সবাইকে বিস্তর ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন ক্যালিস ও জয়াসুরিয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যালিসের রান ২৫ হাজার ৫৩৪, উইকেট ৫৭৭টি। জয়াসুরিয়ার রান ২১ হাজার ৩২, উইকেট ৪৪০। বাকিদের মধ্যে ব্যবধান এমন বেশি নয়। আফ্রিদির রান ১০ হাজার ৯৪৫, ৫২৫টি উইকেট। কপিলের রান ৯ হাজার ৩১, উইকেট ৬৮৭টি। কেয়ার্নসের রান ৮ হাজার ২৭৩, ৪২০টি উইকেট।এই ডাবল ছুঁতে জয়াসুরিয়াকে খেলতে হয়েছে ৫০৬টি ম্যাচ। আফ্রিদিকে ৩৮৩টি। ক্যালিসকে ৩৩৩টি। কেয়ার্নসকে ২৫৮টি। এবং কপিলকে ২৯৫টি ম্যাচ। এটা মোটামুটি নিশ্চিত ২৩৫টি ম্যাচ খেলা সাকিবই দ্রুততম সময়ে ৮ হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের এই ডাবল ছুঁতে চলেছেন। | 155,677 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০১ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০২ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | বিজয়ের দিনে বেড়ানো | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1040121 | কাল মহান বিজয় দিবস। নয় মাসের সংগ্রাম-আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পাওয়া এ বিজয় উদ্যাপনে ঢাকাজুড়ে থাকছে নানা আয়োজন। লাল-সবুজ সাজে সেজে আপনিও যোগ দিতে পারেন বিজয় উৎসবে।স্মৃতিসৌধ ও প্যারেড গ্রাউন্ড: প্রতিবারের মতো সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিজয় উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও বিদেশি কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ এলাকা সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে।সকালে পুরোনো বিমানবন্দরের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজ। বীর মুক্তিযোদ্ধা, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এতে অংশ নেবেন। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে অনুষ্ঠানটি।রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকেও থাকবে নানা আয়োজন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার উৎসব: ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তিন দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রভিত্তিক (টিএসসি) সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে চলছে ‘রক্তে রাঙা বিজয় আমার-২০১৬’। এবারের আয়োজনে থাকছে শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি ‘আমার ভালোবাসার পতাকা’ উত্তোলন, প্রদীপ প্রজ্বালন, ফানুশ ওড়ানো, উন্মুক্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আতশবাজি, ঢাকসহ নানা আয়োজন।১৬ ডিসেম্বর বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানটের যৌথ আয়োজনে ‘সকলে মিলে দেশ—গান গাইবার, দেশ—কথা বলবার’। অনুষ্ঠানে শিল্পীরা মানব পতাকা তৈরি করে সম্মিলিত সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করবেন। বিজয় ঘোষণার ক্ষণ ৪টা ৩১ মিনিটে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে দেশসেরা ব্যান্ডসমূহের অংশগ্রহণে বিজয় দিবস উদ্যাপন জাতীয় কমিটির আয়োজনে থাকবে ‘কনসার্ট ফর ফ্রিডম’। রাত আটটা পর্যন্ত কনসার্ট চলবে।জাদুঘরগুলোর আয়োজন: শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর বিজয় দিবসের সকাল থেকেই খোলা থাকবে। এদিন শিশু ও বৃদ্ধরা বিনা মূল্যে জাদুঘরে ঢুকতে পারবেন। এ ছাড়া প্রধান মিলনায়তনে বেলা ১১টায় মেঘমল্লার ও বেলা ২টায় আগুনের পরশমণি সিনেমা দুটি দেখানো হবে।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা জাদুঘরে সকালে শিশুদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল ১০টায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যা ছয়টায় সংযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।সাইকেলযাত্রা: বিডি সাইক্লিস্টস বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘বিজয় রাইড’-এর আয়োজন করেছে। সকাল আটটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে যাত্রা করবে সাইকেলচালকদের দল। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সবাইকে পতাকার রঙের পোশাক পরে এবং একটি করে জাতীয় পতাকা সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।ফানুস উৎসব: ফেসবুক গ্রুপ ‘বিজয় উৎসব’-এর উদ্যোগে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে ৪৫টি ফানুস উড়িয়ে বিজয়ের ৪৫ বছর উদ্যাপন করা হবে। | 274,306 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০১:০৩ | ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:৩১ | প্রতিষ্ঠানের খবর | 0 | এটম গামের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাসকিন | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1156571 | ‘এটম গাম’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় তাসকিন আহমেদ। গত শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন প্রাণ কনফেকশনারির হেড অব মার্কেটিং সাখাওয়াত আহমেদ। তাসকিন এ সময় নতুন করে এটম গামের মোড়ক উন্মোচন করেন। তাসকিন আহমেদ আগামী দুই বছর এটম গামের বিভিন্ন প্রমোশনাল কাজে অংশ নেবেন। বিজ্ঞপ্তি | 313,600 |
মুনির হাসান | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৬, ১১:২০ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৬, ১৫:২৪ | -1 | null | আমাদের পাগলামিতে আপনাকে স্বাগত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/753826 | আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সবচেয়ে পুরোনো স্বেচ্ছাসেবক আয়ুব সরকার। এবারের ঢাকা আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াডে কতজনের নিবন্ধন হয়েছে তা জানাতে এসেছিল সে । সংখ্যাটা শুনে চমকে গিয়ে আবার জানতে চাই, ‘৩৫০০?’উত্তর আসে, ‘জি। নিবন্ধনের আর কোনো বই নাই। সার্টিফিকেটও নাই।’কথা শুনে আমার মন ফিরে গেছে ২০০২ সালের ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। পরের দিন বাংলাদেশের প্রথম মিনি গণিত অলিম্পিয়াড হবে কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনের দশম তলার মিলনায়তনে। আমার আর ফারহানা আলমের চিন্তা হলো, সেখানে ১০০ জন অংশগ্রহণকারী পাব তো? দুই দিন ধরে আমি বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে যাচ্ছি। বলছি, ‘আপনার সন্তানকে কয়েক ঘণ্টার জন্য আমাদের কাছে দিন। বিকেলে আবার পৌঁছে দিয়ে যাব।’মাত্র ১৫ বছর আগে এভাবে আমরা প্রথম মিনি গণিত অলিম্পিয়াড শুরু করি। আর এখন? ওই যে সাড়ে তিন হাজার জন, তা কেবল ঢাকা উৎসবেই। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই উৎসব। কলেজের প্রায় সব শ্রেণিকক্ষেই মূল পর্ব তথা অলিম্পিয়াড হবে। অন্যান্য পর্ব তো থাকবেই।গণিত অলিম্পিয়াডের শুরুতে অনেকেই মনে করতেন এ রকম একটি কঠিন বিষয় নিয়ে আর যা-ই হোক উৎসব বা আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি করা যাবে না। অনেকেই আমাদের কর্মকাণ্ডকে পাগলামি বলতেন। সিএ ভবনের মিলনায়তনে যেসব শিক্ষার্থীকে ডেকে এনেছিলাম, তাদেরই একজনের মা প্রথম বলেছিলেন, ‘পাগলামি আর কী!’ এর পর থেকে এই পাগলামির কথা আমি শুনেই যাচ্ছি।গণিত অলিম্পিয়াড শুরু হওয়ার পর হন্তদন্ত হয়ে আমাকে পাগল বলেছিলেন প্রয়াত গৌরাঙ্গ স্যার। যেদিন উনি প্রথম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) প্রশ্ন দেখেন, সেদিন রাতেই ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি তো পাগল, মুনির সাহেব। এই অঙ্ক তো আমাদের সিনিয়র স্টুডেন্টরাই পারবে না। আপনি ভাবছেন এগুলো এসএসসি-এইচএসসির ছাত্রছাত্রীরা করে ফেলবে। আপনি কী পাগল?’উত্তরে আমি বলেছিলাম, স্যার, আমাদের ছেলেমেয়েদের দেখিয়ে দিলে ওরা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিতে পারবে। সে-ও এক দশকের বেশি হয়ে গেল। গত কয়েক বছরে আমাদের এই পাগলামিটা স্বতঃসিদ্ধ হিসেবেই মেনে নিয়েছে পরিচিতজনেরা। তাই আর প্রশ্ন করে না।গত ১৫ বছরে আমরা তিল তিল করে একটা প্রবলেম সলভিং কালচার তৈরির চেষ্টা করছি। শুরু করেছি গণিত দিয়েই। কারণ সেটাই বিজ্ঞানের প্রাণভোমরা। সেটি করতে গিয়ে আমরা এক আশ্চর্য জগতের সন্ধান পেয়ে গেছি। জাফর ইকবাল স্যারের ভাষায় এটা হলো, ‘দুই ইঞ্চি থিওরি।’ড. মাহবুব মজুমদারের ভাষায়, ‘ওরা এক একটা জিনিয়াস। এটা হলো, যারা একটু বেশি জানে, তাদের দিয়ে যারা একটু কম জানে তাদের শেখানো, দল বেঁধে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা এবং বিষয়কে প্রবলেম সলভিংয়ে টেনে নামানো।’ সেই কাজটা করে ফেলাতে আর একটা মজার ঘটনাও ঘটে গেল। তা হলো, আমাদের শিক্ষার্থীরাই গণিতের কঠিন সব বিষয়ে বই লিখতে শুরু করে দিল। এমনকি তাদের কেউ কেউ এইচএসসি পার হওয়ার আগেই বই লিখে ফেলল। সে বইও আবার নম্বর থিউরি বা কম্বিনেটরিক্সের ওপর। এ বিষয়ে বাংলাতে মাত্র দু-একটা বই আছে!বছর কয়েক আগে আমরা বইমেলায় গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির মাধ্যমে কেবল গণিতের বইয়ের একটা স্টল করেছি। দেখা গেল, আমরা প্রায় শতাধিক গণিতের বই সেখানে রাখতে পেরেছি। আমি বুঝলাম, আমরা একটা পাগলের খনি পেয়ে গেছি। এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি।সময় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ আমাকে ধরেবেঁধে একটা বই লিখিয়ে নিলেন। বইয়ের নাম ছিল ‘আমাদের গণিত উৎসব’। সে সময় পরিচয় হলো ফরিদ ভাইয়ের ভাগনে রনির সঙ্গে। রনি পরে নিজেই তার একটা প্রকাশনী খুলে বসে। নাম তাম্রলিপি প্রকাশনী। একদিন এসে আমাকে বলল, ‘স্যার, আমি প্রতিবছর বিজ্ঞান আর গণিতের বই বের করতে চাই।’ আমি ভাবলাম, পাগল বলে কী! পরীক্ষা নেওয়া যাক।আমার হাতের কাছে ছিল যাদব চক্রবর্তীর পাটিগণিত। ঢাউস, মোটা একটা গণিতের বই। বললাম, এটা যদি বের করতে পারো, তাহলে তোমার বিষয় আমরা বিবেচনা করব। এ ঢাউস বইটি নিশ্চয়ই শ খানেক কপিও বিক্রি হবে না। কাজে রনি সেটা প্রকাশও করবে না। আমাকেও আর জ্বালাবে না। কিন্তু আমি তখনো পাগল চিনতে শিখিনি। কয়েক দিন পরে এসে জানাল বইয়ের কাজ শেষ। আমি একটা ভূমিকা লিখে দিলে বইটা প্রকাশ হবে। দাম মাত্র ৭০০ টাকা। দামটা তো মুখ্য না। মুখ্য হলো আমি আটকা পড়েছি আমার কথায়।তারপর থেকে রনি একাই মনে হয় বাংলা ভাষায় গণিতের সবচেয়ে বেশি বই প্রকাশ করে ফেলল। এ বছরও বেশ কয়েকটি গণিতের বই বের হয়ে গেছে তার প্রকাশনী থেকে। এর মধ্যে একটা লিখেছে আমাদের এইচএসসি উত্তীর্ণ আইএমও প্রতিযোগী মুতাসিম মিম! আমার হিসাবে গত ১০ বছরে বাংলা ভাষায় গণিতের যত বই প্রকাশিত হয়েছে, তার আগের ৯০ বছরে তার সিকি ভাগও প্রকাশ হয়নি! গণিত অলিম্পিয়াডে আমাদের বড় একটা অর্জন হলো ড. মাহবুব মজুমদারকে কোচ হিসেবে পাওয়া। স্ট্যানফোর্ড, এমআইটি আর কেমব্রিজের এই অ্যালামনাই ইমপেরিয়াল কলেজের চাকরি ছেড়ে এখন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের বিনা বেতনের কোচ। তো, মাহবুব মজুমদার আমার কাছে একদিন জানতে চাইলেন—আমাদের মেধাবীরা কেন এমআইটি-হার্ভার্ডে পড়তে যায় না। আমি জানালাম—যায় তো। মাস্টার্স, পিএইচডি করতে যায়। মাহবুব বললেন, তা কেন হবে? ওরা তো ইচ্ছে করলে আন্ডারগ্রেডেও যেতে পারে। আমি বললাম, ‘আপনি পাগল নাকি?’ তো, দেখা গেল এখানেও অনেক পাগল এসে জুটে গেল। প্রথম সৌমেন আর তানভীর, তারপর নাজিয়া আর নায়েল। আর এখন তো আমাদের কেও না কেও যাচ্ছে প্রতিবছর এমআইটি, হার্ভার্ড, ওয়াটারলুতে!আইওমওতে আমরা আস্তে আস্তে ওপরে উঠতেও শুরু করেছি। বাংলা-আইটি নামে একটি ইয়াহু গ্রুপে ২০০৫ সালে আমার গুষ্টি উদ্ধার করা হয়েছিল যে কেন আমি আইওমওতে দল পাঠানোর মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছি। আমি কিছু বলিনি। কারণ আমি জানতাম, আমাদের খুদে পাগলরা এসব ছেঁদো প্রশ্নের জুতসই উত্তর দিয়ে দেবে। দিয়েছেও তারা। ২০১৫ সালে আমাদের পাগলেরা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে ফেলেছে। ১০৪টি দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান ৩৩তম। ভারত ৩৭, শ্রীলঙ্কা ৫১, পাকিস্তান ৮৫!শুধু যে নতুন প্রজন্মের পাগল জুটেছে তা না। আমরা দেখলাম (<http://munirhasan. com/mzi/>) কায়কোবাদ স্যাররা এক শহর থেকে অন্য শহরে ছুটে যাচ্ছেন। অধ্যাপক খোদাদাদ খান আর অধ্যাপক লুৎফুজ্জামান স্যারের মতো প্রায় আশি-ঊর্ধ্ব দুই তরুণ মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছেন সারা দেশের আনাচকানাচে। যে বিষয়টাকে সবাই অঙ্ক বলত, সেটা ঠিকঠাকভাবে গণিত হয়ে গেল।আমাদের সেই পাগলামির পরিসর অনেক বেড়েছে। ১০০ জনের যে অলিম্পিয়াড করতে আমার নাভিশ্বাস উঠেছিল, এখন প্রতিবছর সরাসরি ৩০ হাজার আর তৃণমূলের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী এর সঙ্গে যুক্ত হয়। সরকারি দলিল-দস্তাবেজে গণিত অলিম্পিয়াডকে স্বীকৃতি দিয়েছে অনন্যসাধারণ উদ্যোগ হিসেবে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বিশ্বের দশটি সামাজিক উদ্যোগের তালিকায় যুক্ত করেছে এই অলিম্পিয়াডের নাম। আর এসবই সম্ভব হয়েছে একদল স্বেচ্ছাব্রতীর কারণে। যারা নিজেদের বলে গণিত অলিম্পিয়াড স্বেচ্ছাসেবক বা মুভার্স। সঙ্গে আছে প্রথম আলো বন্ধুসভা।আর আলাদা করে বলতে হয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কথা। ২০০৪ সালে গণিত অলিম্পিয়াডের পরিসর বাড়ানোর জন্য আমরা যখন পৃষ্ঠপোষক খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম, তখন থেকেই ডাচ-বাংলা ব্যাংক আমাদের স্বপ্নের সারথি। প্রথম আলো সম্পাদকের ঐকান্তিক চেষ্টায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক যুক্ত হয়ে যায় আমাদের সঙ্গে। আমাদের ব্যাংক ডাচ-বাংলা ব্যাংককে জানাই কৃতজ্ঞতা।আজ আমাদের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন। পরীক্ষা পর্ব ছাড়া বাকি সবই সবার জন্য উন্মুক্ত। আমাদের এই গণিত মেলায় সবার নিমন্ত্রণ। | 196,618 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০৫ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০৫ | ভারত | 0 | ফের ভারতীয় সেনার শিরশ্ছেদ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1026473 | নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে পাকিস্তানি সেনারা ভারতের তিন সেনাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একজনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের মাচিল সেক্টরে এ ঘটনা ঘটে।সবশেষ এই ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। তিন সেনা হত্যার সমুচিত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ভারত।প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একই সেক্টরে ভারতের আরেক সেনা শিরশ্ছেদের শিকার হন। ওই ঘটনার জন্যও পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত।ভারতের ভাষ্য, মাছিল সেক্টরে টহল দিচ্ছিলেন ভারতীয় সেনারা। এ সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্ডার অ্যাকশন টিমের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালান।ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। | 267,805 |
প্রতিনিধি, পাথরঘাটা, বরগুনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মে ২০১৯, ১১:১৩ | ১৩ মে ২০১৯, ১৭:২৮ | রাজনীতি,বিএনপি,বরগুনা,পাথরঘাটা,বরিশাল বিভাগ,ঘূর্ণিঝড় ফণী | null | ফণীতে ক্ষতিগ্রস্ত পাথরঘাটায় যাচ্ছে বিএনপি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1593636 | ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনার পাথরঘাটা এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা আজ সোমবার দুপুরে পাথরঘাটা থেকে সড়কপথে বলেশ্বর নদের তীরের চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের বাঁধ এলাকায় যাবেন।পাথরঘাটা পৌর বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান চাপরাশি প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।দলীয় সূত্র বলছে, ফণীর কারণে দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামে ঘরচাপায় দাদি নূরজাহান বেগম ও নাতি জাহিদুলের মৃত্যু হয়। তাঁদের স্বজন ইব্রাহিম হোসেনের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির প্রতিনিধিদল। ওই পরিবারকে ঘর তৈরিতে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া তারা ক্ষতিগ্রস্ত আরও কয়েকটি পরিবারকে সহায়তা দেবে।প্রতিনিধিদলে আছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, সহসভাপতি সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন ও বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা।৬ মে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও সাংসদ আমির হোসেন আমু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ওই এলাকা পরিদর্শন করে।আরও পড়ুন:বরগুনায় ঘরচাপায় দাদি-নাতির মৃত্যু | 401,823 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩০ | ০৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩৩ | রাজশাহী,বিশাল বাংলা | 0 | রাজশাহীতে ধান গবেষণার মাঠেও ছত্রাকের আক্রমণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/68254 | রাজশাহীতে ‘লক্ষ্মীর গু’ (লুজ স্মার্ট) ছত্রাক কৃষকের মাঠ থেকে ধান ও গম গবেষণাকেন্দ্রের খামারেও ঢুকে পড়েছে। বাইরের মাঠের মতো গবেষণাকেন্দ্রের ব্রি-৪৯ জাতের ধানে এই ছত্রাকের ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। আবহাওয়ার কারণে এমনটা ঘটছে বলে গবেষকদের ধারণা।রাজশাহী নগরের শ্যামপুর এলাকায় আঞ্চলিক ধান ও গম গবেষণাকেন্দ্রের অবস্থান। চারদিকে সীমানাপ্রাচীর ঘেরা ওই কেন্দ্রের মাঠের পূর্ব পাশে গম এবং পশ্চিম পাশে ধান গবেষণা খামার।গত মঙ্গলবার ওই গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, খামারে ব্রি-৪৯ জাতের ধানে লক্ষ্মীর গু নামের ছত্রাক আক্রমণ করেছে। এতে বেশির ভাগ ধানের শিষে কালো-হলুদ রঙের গুঁড়া দেখা গেছে।ধান গবেষণাকেন্দ্রের এক শ্রমিক বলেন, এবার ব্রি-৪৯ জাতের ধানে ব্যাপক সংক্রমণ হওয়ায় ধান গবেষণার খামারও বাদ যায়নি। ধান গবেষণার মাঠে ব্রি-৩১ জাতের ধানেও এই ছত্রাকের আক্রমণ হয়েছে।ধান গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেনের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তিনি রাজশাহীর ধানখেতে লক্ষ্মীর গু ছত্রাকের সংক্রমণের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করছেন। গবেষণা কেন্দ্রে কীভাবে এই ছত্রাক এল, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতির ওপরে তো কারও হাত নেই। ফলস বা লুজ স্মার্ট ছত্রাককে স্থানীয় কৃষকেরা লক্ষ্মীর গু বলে থাকেন। কারণ, যে বছরের আবহাওয়ায় ধান বেশি হয়, সেই বছরই এই ছত্রাকের আক্রমণ বেশি থাকে। শিষ বের হওয়ার সময় যদি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয় এবং আবহাওয়া আর্দ্র থাকে, তখন ধানের ফলন বাড়ার সঙ্গে ছত্রাকও দেখা দেয়।’ধান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুনতাসির আহাম্মেদ বলেন, ‘একবার এই ছত্রাক দেখা দিলে আর সেটা শতভাগ ভালো হয় না। এ জন্য আবহাওয়া এ রকম হলে আগে থেকেই এক লিটার পানিতে প্রোপিকোনাজল গ্রুপের ওষুধ এক এমএল পরিমাণ মিশিয়ে বা কপার অক্সিক্লোরাইড গ্রুপের ওষুধ আড়াই গ্রাম পরিমাণে এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়। আর বেশি মাত্রায় আক্রমণ দেখা দিলে দুই ধরনের ওষুধই একসঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।’মুনতাসির আহাম্মেদ আরও বলেন, চলতি আমন মৌসুমে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ব্যাপকভাবে এই ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তানোর উপজেলায় দুই হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে এবার ব্রি-৪৯ জাতের ধান চাষ হয়। এর সিংহভাগ জমিতেই লক্ষ্মীর গু ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যে জমিতে এই ছত্রাক দেখা দিয়েছে, সেই জমির ধান আর কৃষকেরা বীজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না। | 26,367 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১০ নভেম্বর ২০১৭, ০৯:২১ | ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৪৩ | ভারত | null | মঙ্গলে যেতে টিকিট কাটার ধুম | http://www.prothom-alo.com/international/article/1362081 | ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯৯ জন ভারতীয় মঙ্গল গ্রহে যেতে চান। আগামী বছরের ৫ মে নাসার ইনসাইট মঙ্গলের দিকে যাত্রা করার কথা। নাসার ওই ইনসাইটে টিকিট বুক করেছেন ভারতীয়রা।নাসা এক বিবৃতিতে বলছে, যাঁরা মঙ্গলে যেতে নাম লিখিয়েছেন, অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের বোর্ডিং পাস দেওয়া হবে।টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে জানানো হয়, শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার ৮০৭ জন মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য নাসায় নাম দিয়েছেন।নাসা গত বুধবার জানিয়েছে, মঙ্গল অভিযানে যেতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছ থেকে যত নাম এসেছে, এ তালিকায় ভারত তৃতীয়।তালিকায় প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৩ জন মঙ্গলে যেতে চান। দ্বিতীয় অবস্থানে চীন। দেশটির ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জন মঙ্গল গ্রহে যেতে চান।মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাসার অভিযানে মঙ্গল গ্রহে যেতে ইচ্ছুক মানুষের তালিকার প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের নাম থাকাটা বিস্ময়ের নয়। তবে তালিকায় চীনের পরই ভারতের নাম থাকাটা তাৎপর্যপূর্ণ।নাসার জেট পরিচালন গবেষণাগারের (জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি) অ্যান্ড্রু গুড বলেন, নাম জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত সপ্তাহে।নাসা বিবৃতিতে বলেছে, ইনসাইটটি কেবল মঙ্গল গ্রহ পর্যবেক্ষণ করবে না, একইসঙ্গে এই গ্রহের গঠন এবং সৌর ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে। | 344,150 |
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৭ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৯ | টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ | 0 | ঘাটাইলে সাংসদ আমানুরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/762265 | টাঙ্গাইলে সাংসদ আমানুর রহমান খানের (রানা) সমর্থক ও তাঁর বিরোধীদের মধ্যে এখনো উত্তেজনা চলছে। আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আমানুর ও তাঁর ভাইদের বিচারের দাবিতে গতকাল শনিবার সাংসদের নির্বাচনী এলাকা ঘাটাইলে বিক্ষোভ করেছে সাংসদবিরোধী অংশ।এদিকে সাংসদবিরোধী ও সাংসদ সমর্থকদের মধ্যে গত বুধবারের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নয়জন নেতা-কর্মীকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে সাংসদবিরোধী পক্ষের আটজন ও সাংসদ সমর্থক একজন।ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, নয়জনকে আটক করার পর গত শুক্রবার রাতে তাঁদের থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। এঁদের মধ্যে সাংসদবিরোধী হিসেবে পরিচিত পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, ঘাটাইল ব্রাহ্মণশাসন গণমহাবিদ্যালয় (জিবিজি কলেজ) ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবু সাইদ রুবেল, ছাত্রলীগ কর্মী আবিদ হোসেন, মঞ্জুরুল ইসলাম খান, রাজীব সরকার, বাবর আলী, রুবেল মিয়া ও মৃদুলকে আমানুর সমর্থক জামুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হেস্টিংয়ের বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাংসদের পক্ষের যুবলীগের কর্মী মনছুর আলীকে সাংসদবিরোধী মজিবর রহমানের বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ, ফারুক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাংসদ ও তাঁর ভাইদের বিচারের দাবিতে গতকাল বিকেলে ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঘাটাইল আওয়ামী লীগের সাংসদবিরোধী অংশ। বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আমানুরবিরোধী অংশের নেতারা এতে বক্তব্য দেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সাংসদ সমর্থকেরা মাঠে উল্লেখযোগ্যভাবে না থাকলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত বুধবার আমানুর ও তাঁর ভাইদের নামে আদালতে ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর তাঁর সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেন। উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবিসহ টানানো বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। সাংসদবিরোধী ছাত্রলীগ কর্মীদের বাড়ি ও সৃষ্টি মেমোরিয়াল নামের একটি কিন্ডারগার্টেনে হামলা চালানো হয়। পরে সাংসদবিরোধীরা ওই রাতেই সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মিছিল করে। রাতে র্যাব সাংসদবিরোধী পক্ষের আটজনকে এবং সাংসদ পক্ষের একজনকে আটক করে।২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকায় তাঁর বাসার কাছে রাস্তায়। পরে তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। বুধবার পুলিশ সাংসদ আমানুর, তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। আমানুর ও তাঁর তিন ভাইসহ আসামিদের ১০ জনই পলাতক। বাকি চারজন কারাগারে আছেন। | 199,475 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ০২:১২ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ১৮:২৪ | অপরাধ | null | প্রাণের গুঁড়া হলুদের লাইসেন্স স্থগিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/76336 | প্রাণের প্যাকেটজাত গুঁড়া হলুদের লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে দেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই। প্রাণের উৎপাদিত হলুদে ক্ষতিকর মাত্রায় সিসা পাওয়ায় গত সপ্তাহে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি।লাইসেন্স স্থগিত করার ফলে এখন থেকে আর প্যাকেটজাত গুঁড়া হলুদ বাজারজাত করতে পারবে না প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রাণ বলছে, বাজার থেকে তারা সব গুঁড়া হলুদই তুলে নিয়েছে।বাজার থেকে সংগ্রহ করা প্রাণের গুঁড়া হলুদ পরীক্ষা করে বিএসটিআই ৪০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) থেকে ৫৮ পিপিএম মাত্রায় সিসা পায়। এর পরই লাইসেন্স স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।যোগাযোগ করা হলে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সার্টিফিকেশন মার্ক—সিএম) কমল প্রসাদ দাস প্রথম আলোকে বলেন, মাত্রাতিরিক্ত সিসা পাওয়ার কারণে প্রাণের গুঁড়া হলুদের লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তিনি জানান, এর ফলে এখন থেকে প্রাণের গুঁড়া হলুদ বাজারে বিক্রি করা যাবে না। যদি এ হলুদ পাওয়া যায়, তাহলে তা ধ্বংস করা হবে।প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বিএসটিআই চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের একটি চিঠি দিয়েছি। কয়েক ধরনের নমুনা গুঁড়া হলুদ পাঠিয়ে বলেছি এগুলো পরীক্ষা করে দেখতে। যে হলুদটাই তাদের কাছে মানসম্মত মনে হবে, আমরা সে অনুযায়ীই হলুদ উৎপাদন ও বাজারজাত করব।’বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, সাময়িকভাবে স্থগিত করা লাইসেন্স ফিরে পেতে পারে প্রাণ। তবে এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে গুঁড়া হলুদ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে বিএসটিআইকে জানাতে হবে। এরপর কারখানা ও বাজার থেকে প্রাণের গুঁড়া হলুদ সংগ্রহ করে আবারও পরীক্ষা করা হবে। যদি তাতে সিসা পাওয়া না যায়, তাহলে লাইসেন্স স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। | 28,766 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ আগস্ট ২০১৫, ০৩:১১ | ২০ আগস্ট ২০১৫, ০৩:১২ | রাজধানী (জাতীয়),মহানগর | 0 | নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/607804 | মহাসড়কে অটোরিকশা-অটোটেম্পো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বাতিলের দাবিতে গতকাল বুধবার রাজধানীর তোপখানা রোডে অটোরিকশা-অটোটেম্পো সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক। এতে বিভিন্ন জেলার অটোরিকশা-অটোটেম্পো মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা-অটোটেম্পো চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায় বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। ঈদের সময় মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ঘটনার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সেই দায় অটোরিকশা-অটোটেম্পোর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে মহাসড়কে অটোরিকশা-অটোটেম্পো চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করেন। তাঁরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জোরদার জাতীয়ভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। বিজ্ঞপ্তি। | 161,464 |
পার্থ সরকার | life-style | জীবনযাপন | ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৬ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:১২ | নকশা,খাবারদাবার | null | রসুইঘর থেকে | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/94678 | সবজির লাবড়াউপকরণ: মিষ্টি কুমড়া ১০০ গ্রাম, বাঁধাকপি ১০০ গ্রাম, ফুলকপি ১০০ গ্রাম, গাজর ১০০ গ্রাম, পটোল ১০০ গ্রাম, চিচিঙ্গা ১০০ গ্রাম, বরবটি ১০০ গ্রাম, আলু ১০০ গ্রাম, মসুর ডাল ৫০ গ্রাম, হরীতকী মসলা (দারুচিনি, জয়ত্রী, পিপল, শাহী জিরা, সাদা গোল মরিচ, শুকনা আদা, গোলাপজল, লবঙ্গ, কাবাব চিনি ইত্যাদি মসলা স্বাদমতো মেশানো) ৫০ গ্রাম, মেথি শাকের পাউডার, লবণ ও হলুদ প্রয়োজনমতো।প্রণালি: প্রথমে সবজিগুলো কিউব করে কেটে নিতে হবে। হালকা হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে মসুর ডাল দিয়ে দিতে হবে। হরীতকী মসলা দিতে হবে পরিমাণমতো। এরপর দুই থেকে তিন মিনিট মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে। এবার মেথি শাকের পাউডার দিয়ে বাগার দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।পুদিনা লেমোনেডউপকরণ: লেবুর রস ৩০ গ্রাম, পুদিনাপাতা এক মুঠো, বিট লবণ, চিনির সিরাপ, বরফ কিউব, পানি প্রয়োজনমতো।প্রণালি: লেবু থেকে প্রথমে রস বের করে নিতে হবে। এরপর পুদিনাপাতাগুলো ছিঁড়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে বিট লবণ, চিনির সিরাপ, বরফ কিউব ও ১৫০ গ্রাম পানি নিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। হয়ে গেল পুদিনা লেমোনেড। | 34,638 |
লন্ডন প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ মার্চ ২০১৭, ০২:২৪ | ১৯ মার্চ ২০১৭, ০২:২৫ | -1 | null | নিজামীর স্ত্রী যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1112710 | মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর স্ত্রী শামসুন্নাহার নিজামী যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন। বাংলাদেশে তাঁর জীবন হুমকির সম্মুখীন, এমন আশঙ্কায় তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।গত বৃহস্পতিবার শামসুন্নাহার নিজামী এই আবেদন করেন বলে নিজামী পরিবারের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের আগস্ট থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন শামসুন্নাহার নিজামী।নিজামীর ছয় সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে খাদিজা তাহেরা এবং ছেলে নাজিম মোমেন পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তাঁদের সঙ্গেই লন্ডনে বসবাস করছেন শামসুন্নাহার নিজামী। তিনি আগেও বেশ কয়েকবার যুক্তরাজ্যে এসেছেন। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া মীর কাসেম আলী এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর গত বছরের আগস্ট মাসে লন্ডনে চলে আসেন শামসুন্নাহার নিজামী।সূত্র জানায়, শামসুন্নাহার নিজামী ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে বছরের শুরুতে তিনি মালয়েশিয়া গিয়ে বড় মেয়ের সঙ্গে দেখা করে আসেন।যোগাযোগ করা হলে লন্ডনে অবস্থানরত খাদিজা তাহেরার স্বামী নজরুল ইসলাম গত শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, শামসুন্নাহার নিজামীর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না। | 304,229 |
হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক | entertainment | বিনোদন | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪২ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪৫ | বিনোদন,আলাপন | 0 | আমাদের জুটিটা মানুষ পছন্দ করছে | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/618685 | আজ রাত ৯টা ২০ মিনিটে মাছরাঙা টিভিতে প্রচারিত হবে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক দোস্ত দুশমন।এরই মধ্যে ধারাবাহিকটির ৫০তম পর্ব পেরিয়েছে। এতে অভিনয় করছেন শবনম ফারিয়া। ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় ও ঈদের কাজ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।‘দোস্ত দুশমন’ ৫০তম পর্ব পেরোল। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কেমন সাড়া পাচ্ছেন?বেশ সাড়া পাচ্ছি। এই ধারাবাহিকটি একটু অন্য রকম। কাজ করেও ভালো লাগছে। আমার মনে হয়, এই ধারাবাহিকে তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে আমার জুটিটা মানুষ পছন্দ করেছে। তৌসিফের সঙ্গে প্রথম অভিনয় করেছি অ্যাট এইটিন দৌড়ের ওপর টেলিছবিতে। তারপর বেশ কয়েকটি নাটক, টেলিছবি ও ধারাবাহিকে জুটি হয়ে কাজ করেছি। আমাদের জুটিটা মানুষ পছন্দ করছে। এটাই তো বড় কারণ।আপনাদের দুজনের ‘রুমডেট’ নাটকটি নিয়ে তো বেশ সমালোচনা হয়েছিল। এটা নিয়ে মন্তব্য কী?যত দূর জানি, নাটকটির প্রমো দেখার পর সমালোচনা বেশি হয়েছিল। কিন্তু পুরো নাটক দেখার পর সবাই অনেক ইতিবাচক মন্তব্য করেছে। বিশেষ করে শিশু নির্যাতনের মতো ব্যাপারটা আমার মনে হয় প্রথমবার কেউ নাটকের বিষয়বস্তু হিসেবে নিয়েছে। একই সঙ্গে নাটকটিতে এই প্রজন্মের বাস্তবতা নিয়ে কথা হয়েছে। তাই এটা দেখে যদি একটু পরিবর্তন আসে, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।ঈদের কাজের ব্যস্ততা কেমন?এবারের ঈদে নাটকের একটা লম্বা তালিকা হবে। গত রোববার আবু হায়াত মাহমুদের মেঘের কোলে সূর্য হাসে নামে একটি নাটকে অভিনয় শুরু করেছি। নাটকে আমাকে নাচতে হবে, কিন্তু আমি একদমই নাচতে পারি না। এ জন্য অনেকবার মহড়া করতে হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে আছে। | 164,933 |
এম এ মজিদ | entertainment | বিনোদন | ১০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৩ | ১০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৩ | মঞ্চ,আনন্দ | 0 | শেষ দিকে যাত্রা মৌসুম | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/188554 | প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যাত্রাগানের মৌসুম শেষ হবে আর মাত্র তিন দিন পর। কিন্তু এবার মৌসুম শেষ হলেও গানবাজনা শেষ হচ্ছে না। ৩০ চৈত্র মৌসুমী যাত্রা শেষ হলে পয়লা বৈশাখ থেকে চালু হচ্ছে বৈশাখী যাত্রা। বৈশাখী যাত্রার বড় রকমের আসর বসছে এবার গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলায়। আয়োজক পক্ষ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসিতলায় বৈশাখী মেলায় পাঁচটি যাত্রার আসর বসছে। প্রতি রাতে পাঁচটি যাত্রাদল পালা প্রযোজনায় নামবে। শেষ মুহূর্তের যাত্রা দলগুলোর অবস্থান হচ্ছে—নেত্রকোনা সদরে দি চ্যালেঞ্জার অপেরা, জেলার কলমাকান্দায় পদ্মা অপেরা, বগুড়ার বিচকবাজারে চৈতালী অপেরা, জেলার মুসলিমগঞ্জ আদি বঙ্গশ্রী অপেরা, খুলনার বয়ারসিংহ বাজারে প্রতিমা অপেরা, বাগেরহাটের কাটাখালী নিউ রাজমহল অপেরা, মোল্লারহাট আনন্দ অপেরা, জয়পুরহাট আদি ভোলানাথ অপেরা, সাভার বাইপাইল দোয়েল অপেরা, আশুলিয়ার বলিভদ্রতে আদি রাজমহল ও নিউ ফাল্গুনী অপেরা, নারায়ণগঞ্জ বন্দরে কোহিনুর অপেরা।সূত্রমতে, এ দলগুলোই বৈশাখী যাত্রায়োজনে দেশের বিভিন্ন প্যান্ডেলে অংশ নেবে। প্রতিবারের মতো এবারও বাঙালি তার ভেতরে লালিত সংস্কার আর সংস্কৃতির মিশেলে পালন করবে এই উৎসব। পয়লা বৈশাখ বাংলা সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। বৈশাখী উৎসবে সারা দেশেই মহামিলনের ঢেউ জাগে। যাত্রায় এসে আছড়ে পড়ে সেই ঢেউ। দর্শক-কুশলী একাকার হয়ে যাওয়ার এ এক মিলনক্ষেত্র। | 64,968 |
সৌরভ দাশ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৮:০৩ | ১৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৮:০৭ | বাংলা নববর্ষ,ছবির গল্প | 0 | বর্ষবরণে চড়কপূজা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1470981 | প্রতিবছর চৈত্রের শেষ দিনে চড়কপূজার আয়োজন হয়। বৈশাখের প্রথম দু-তিন দিন চড়কপূজার উৎসব চলে। চড়কপূজা মূলত হিন্দু দেবতা শিবের গাজন উৎসবের একটি অংশ। এই পূজা উপলক্ষে বসে চড়কসংক্রান্তির মেলা। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কোকদণ্ডিতে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় পয়লা বৈশাখে চড়কপূজার আয়োজন করা হয়। এলাকার রামদাস মুন্সীর বংশধরেরা বংশপরম্পরায় প্রতিবছর এই পূজা করে আসছেন। স্থানীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এই পূজা সম্পন্ন করেন। ছবিগুলো গত শনিবারের। | 361,076 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ মে ২০১৫, ০১:৫৯ | ২৬ মে ২০১৫, ০২:০০ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর | 0 | আরও ৪৫ জনের বক্তব্য শুনেছে তদন্ত কমিটি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/537532 | চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি আরও ৪৫ জনের বক্তব্য শুনেছে। নগরের সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে গতকাল তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাঁরা।এর আগে গত রোববার তদন্ত কমিটির কাছে হামলার শিকার তিন সাংবাদিকসহ মোট ৪০ জন সাক্ষ্য দেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা। অপর দুই সদস্য হচ্ছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব ফরহাদ আহমেদ খান ও চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (সদর) ফারুক আহমেদ। গতকাল বিভিন্ন মেয়র প্রার্থীর প্রতিনিধি, কাউন্সিলর প্রার্থী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রে কর্তব্যরত পুলিশের কাছ থেকে নির্বাচনের দিন ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির সদস্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান জানান, দুই দিনে ৮৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।নির্বাচনের দিন আগ্রাবাদ ব্যাপারীপাড়া তালেবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্র ও হালিশহর কেজিএন স্কুলকেন্দ্রে জোরপূর্বক ব্যালটে সিল মারার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক হামলার শিকার হন। | 142,058 |
-1 | sports | বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ | সময়সূচি, লাইভ স্কোর, পয়েন্ট টেবিল, কুইজ ও খেলার আপডেট নিউজ | ২৩ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৬ | ২৩ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৭ | টি ২০ বিশ্বকাপ ২০১৬,খেলা | 0 | কথামালা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/807193 | এখানে সবাই পরিণত। উৎসাহিত করার কিছু নেই। সবচেয়ে বড় উৎসাহ, দেশের জন্য খেলছেনসাকিব আল হাসানটানা দুই ম্যাচে হারের পর সতীর্থদের উৎসাহিত করার প্রশ্নে বাংলাদেশের অলরাউন্ডারঅতিরিক্ত সমালোচনা করলে দলে অস্থিরতা তৈরি হয়শহীদ আফ্রিদিবিশ্বকাপের মাঝে দল নিয়ে অতি প্রতিক্রিয়া দেখানোটা ভালো চোখে দেখছেন না পাকিস্তান অধিনায়কপাকিস্তান আসলে বুলেট ভয় পায় না, তারা ভয় পায় কোহলিকেবীরেন্দর শেবাগএখনো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বুঁদ হয়ে আছেন সাবেক ভারত ওপেনারআমাদের অনেক ভ্রমণ করতে হচ্ছে সত্যি, কিন্তু এটা কোনো অজুহাত হতে পারে নাস্টিভ স্মিথটানা ভ্রমণের ক্লান্তিকে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ার কারণ মনে করেন না অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কআমি ফেসবুকে নেই, টুইটারও ব্যবহার করি নাআশিস নেহরাখেলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উত্তপ্ততা স্পর্শ করে না ভারতীয় পেসারকে | 213,459 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৩২ | ১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৩৪ | রাজশাহী,বিশাল বাংলা | 0 | ক্ষতিকর ওষুধে পাকছে টমেটো | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/76828 | রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ওষুধ দিয়ে কাঁচা টমেটো পাকানো শুরু হয়েছে। বেশি দামের আশায় একশ্রেণীর কৃষক ও ব্যবসায়ী এই টমেটো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠাচ্ছেন। পুষ্টি ও স্বাদের আশায় ক্রেতারাও চড়া দামে কিনছেন এই টমেটো।কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, অপরিপক্ব এই টমেটোতে সব খাদ্য উপাদান ঠিকমতো তৈরি হয় না। এভাবে কাঁচা টমেটো পাকানোর কারণে তাতে ভিটামিন ও স্বাদ দুটিই নষ্ট হচ্ছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সবচেয়ে বেশি টমেটো চাষ হয়। এবার এই এলাকায় তিন হাজার ৩৩৪ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী ফুল আসার পর থেকে ৩৫-৪০ দিনে টমেটো পরিপক্ব হয়। কৃষকেরা বেশি লাভের আশায় ১৮-২০ দিনের মধ্যেই টমেটো তুলে ফেলছেন।গত রোববার সরেজমিনে গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় রাস্তার ধারে টমেটো পাকানোর জন্য ওষুধ ছিটাতে দেখা গেছে। কৃষক ও টমেটো ব্যবসায়ী কালু টমেটোতে ওষুধ ছিটাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ওষুধ দিয়ে তাঁরা তিন-চার দিন এই টমেটো ঢেকে রাখবেন। তারপর এক দিন রোদে দিতে হবে। এরপর আবার পাঁচ-ছয় দিন ঢেকে রাখলে টমেটোতে পাকা লাল রং ধরবে। হাইব্রিড জাতের এই টমেটোতে ওষুধ দিয়ে ঢেকে না রাখলে পাকা রং ধরে না বলে জানান তিনি। দেশি জাতের হলে গাছে ওষুধ দিলেই রং ধরে।ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, গাছে হোক আর মাঠে হোক, ওষুধ দিতেই হবে। তা না হলে গাছে টমেটো একসঙ্গে পাকে না। একটি-দুটি করে পাকে।একই এলাকার কৃষক বিদ্যুৎ, টুলু ও জাহাঙ্গীরকেও একইভাবে টমেটো পাকাতে ওষুধ ব্যবহার করতে দেখা যায়। এ ছাড়া গোপালপুর, মহিষালবাড়ী, গোদাগাড়ী হেলিপ্যাড, কাবিপুর, মাটিকাটা কলেজমাঠ ও সুলতানগঞ্জ এলাকায় কৃষকদেরও টমেটো পাকানোর এই কৌশল নিতে দেখা গেছে।গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। তিনি ২০০৯ সালে গোদাগাড়ীর কৃষকদের এই ফল পাকানোর ওষুধ ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচারপত্র বিলি করেছিলেন।রোববার যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শুধু পরিপক্ব টমেটোতেই খাদ্য উপাদান সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায়। তাপ প্রয়োগ ও বাসি হয়ে গেলে টমেটোর ভিটামিন-সি নষ্ট হয়ে যায়।এ ছাড়া রোদে শুকানো এবং একাধারে পাঁচ-সাত দিন স্তূপ করে রাখার কারণে যে ভিটামিন এতে থাকে, তাও নষ্ট হয়ে যায়। অল্প পরিমাণে মেশানো হলেও এই ইথেফোন গ্রুপের ইথ্রেল, রাইপেন, রাইজার, টমটম-জাতীয় ওষুধ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।গোদাগাড়ীর কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, টমেটো স্বাভাবিক উপায়ে পাকলে যে স্বাদ ও পুষ্টিমাণ পাওয়া যায়, এই টমেটোতে তা পাওয়া যাবে না। তবে এই ওষুধ ২ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) মাত্রার বেশি হলে দেহের ক্ষতি করে। এখানে কৃষকেরা যে মাত্রায় ব্যবহার করছেন, তা ১ দশমিক ৭ পিপিএম। অতিরিক্ত দামের আশায় কৃষকেরা এই ওষুধ মেশাচ্ছেন। | 29,119 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১৯ মে ২০১৯, ১৮:৫৮ | ১৯ মে ২০১৯, ১৯:২৩ | কান চলচ্চিত্র উৎসব,বিনোদন,চলচ্চিত্র | 0 | লাল গালিচায় সবুজ প্রতিবাদ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1594807 | যে গালিচা অভিনেতা-অভিনেত্রীর লাস্যময় উপস্থিতির জন্য আলো ছড়াত, সেই গালিচায় এখন নিয়মিতই দখল করে নেন প্রতিবাদীরা। গতকাল শনিবারও কান উৎসবের লাল গালিচা এক উত্তাল প্রতিবাদের সাক্ষী হলো। আর্জেন্টিনায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার আইনের বিরোধিতা করে ৬০ নারী এক সবুজ আন্দোলনে নেমে পড়লেন। কিছুদিন আগেই কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় সিরিয়ায় হাসপাতালে বোমা হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ‘ফর সামা’ প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা ও শিল্পীরা। এরপর কলম্বিয়ার নির্মাতা মোরিসিও লেজামার হত্যার প্রতিবাদও এবার উত্তাপ ছড়িয়েছে কানের লাল গালিচায়। গত বছর আর্জেন্টিনায় সব ধরনের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে দেশটির বিভিন্ন নারী সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। আগামী ২৮ মে এই আইনের বিরুদ্ধে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে লাতিন আমেরিকার এই দেশে। গত শনিবার ৭২তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘স্পেশাল স্ক্রিনিংস’ বিভাগে প্রদর্শিত হয় জুয়ান সোলানাস পরিচালিত আর্জেন্টাইন ছবি ‘লেট ইট বি ল’। ছবিতে গর্ভপাত নিষিদ্ধের আইনের বিরোধিতা করেছেন পরিচালক। এর উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে তাই সবুজ পোশাক পরে নারীরা গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের স্বাধীনতা দাবি করেন। সবুজ পোশাক হলো আর্জেন্টিনার নারী অধিকার আন্দোলনের প্রতীকী রং। সূত্র: হলিউড রিপোর্টার | 402,556 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মে ২০১৪, ০২:৪৯ | ২১ মে ২০১৪, ০৯:৪৫ | অপরাধ,ফেনী,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে, পুড়িয়ে হত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/221677 | ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল হককে (৪৭) দিনদুপুরে গাড়ির ভেতরে গুলি করার পর গাড়িসুদ্ধ পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের একাডেিম সড়কে বিলাসী সিনেমা হলের কাছে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। এ সময় একরামের সঙ্গে গাড়িতে থাকা তাঁর তিন সঙ্গী ও গাড়িচালক আহত হন।নিহত একরাম ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্দুয়া দৌলতপুরে। তবে তিনি ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ার বাসায় থাকতেন।এ হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফেনী শহরে আতঙ্ক দেখা দেয়। রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। শহরে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একরাম তাঁর গাড়িতে করে গতকাল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ফেনী শহর থেকে ফুলগাজীর উদ্দেশে রওনা হন। শহরের একাডেমি সড়কের বিলাসী সিনেমা হলের কাছাকাছি পৌঁছালে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা একটি অটোরিকশা (ইজিবাইক) দিয়ে পথরোধ করে। দুর্বৃত্তরা প্রথমে একরামকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি করে ও কয়েকটি ককটেল ফাটায়। একই সঙ্গে দুর্বৃত্তরা লাঠি ও কিরিচ নিয়ে গাড়িতে হামলা চালায়।এ সময় গািড়তে থাকা চালকসহ চারজন আহত অবস্থায় বেরিয়ে যেতে পারলেও গুলিবিদ্ধ একরাম বের হতে পারেননি। পরে সন্ত্রাসীরা তাঁর গািড়তে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। গািড়তেই পুড়ে মারা যান একরাম। তাঁর লাশ শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে।খবর পেয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষসহ পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়৷ বিকেলে ডিএনএ টেস্টের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।একরামের গািড়তে থাকা আহত ব্যিক্তদের একজন মহিবুল্লাহ ফরহাদ স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা ফেনী সমাচার-এর সম্পাদক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা চেয়ারম্যান একরামুল হকসহ ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে ফুলগাজী যাচ্ছিলেন। গািড়র সামনে একটি ইজিবাইক দিয়ে পথ রোধ করে দুর্বৃত্তরা বোমা ফাটিয়ে খুব কাছ থেকে একরামকে গুলি করে। গাড়ির ভেতর থাকা বাকিদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। গািড়র চালকসহ চারজন আহত অবস্থায় কোনোরকমে গািড় থেকে বের হয়ে রক্ষা পান। সন্ত্রাসীরা গািড়তে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়।গািড়চালক আবদুল্লাহ আল মামুন ও আওয়ামী লীগের কর্মী আবুল হোসেনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দুজন ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন ও সাংবাদিক মহিবুল্লাহ ফরহাদকে পুলিশ হেফাজতে রেখে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।খবর পেয়ে ফেনী-১ আসনের (ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম) সাংসদ শিরিন আক্তার ছুটে যান সদর হাসপাতালে।বেলা সোয়া তিনটায় ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (নাসিম) ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে ফেনী পৌঁছান।বিকেলে একরামকে হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ-যুবলীগ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাংসদ রহিম উল্যাহ, যুবলীগ নেতা সুসেন চন্দ্র শীল প্রমুখ।কারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে—জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচনী বিরোধ কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।পুলিশ দাবি করছে, তারা এ হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু বলতে পারছে না। রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি এবং কাউকে আটকও করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ।এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ করেন। দুপুর ১২টার দিকে একরামের সমর্থকেরা ফেনী-পরশুরাম সড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় অবরোধ করেন। এ সময় মহিপালের উভয় পাশে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকেল চারটায় বিজিবির সদস্যরা অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল আবার শুরু হয়।ফেনীর একসময়ের ‘গডফাদার’ জয়নাল হাজারীর কথিত স্টিয়ারিং কমিটির শীর্ষ চারজনের অন্যতম এবং বর্তমানে এলাকায় সরকাির দলের প্রভাবশালী নেতা একরাম৷ তাঁকে এভাবে প্রকাশ্যে কারা হত্যা করতে পারে, গতকাল এটাই ছিল ফেনীর মানুষের মূল জিজ্ঞাসা। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে, একরাম দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হতে পারেন।এর আগে ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে এই একাডেিম সড়কেই গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ফুলগাজী যুবলীগের নেতা আবুল বশর ওরফে বইশ্যাকে। তখনো আলোচনা ছিল, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়৷ গতকাল একরামকে হত্যার পরপর দেড় দশক আগের ওই হত্যার ঘটনা নতুন করে আলোচনায় আসে।একরামকে হত্যার প্রতিবাদে তাঁর সমর্থকেরা গতকাল বিকেলে ফুলগাজীতে বিএনপির নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর গ্রামের বািড়তে হামলা, ভাঙচুর ও খড়ের গাদায় আগুন দেয়। মাহতাব উদ্দিন ঢাকায় থাকেন। তিনি উপজেলা নির্বাচনে একরামের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন।এ ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে একরামকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে তারা এখন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে একরামের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে একরামের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে এ ঘটনার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে। তার পরও যেন তদন্ত করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।বিএনপির সংবাদ সম্মেলন: গতকাল সন্ধ্যায় শহরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে স্থানীয় বিএনপি দাবি করে, একরাম হত্যার জন্য তাঁর দল আওয়ামী লীগ দায়ী৷জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন (মিস্টার) বলেন, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের ভেতরে দলীয় প্রতিপক্ষকে খুন ও গুমের পরিকল্পনা হচ্ছে মর্মে ১৯ মে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ জয়নাল হাজারী সম্পাদিত হাজারিকা প্রতিদিন পত্রিকায় খবর বের হয়েছে৷ এতে একরামের নামও ছিল। এ হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এখন বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। তিনি এর নিন্দা জানান।সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন খান, ফেনী পৌর বিএনপির সভাপতি আলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । | 74,845 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ জুন ২০১৫, ১৫:৪৪ | ৩০ জুন ২০১৫, ২০:৪৭ | সংসদ | null | ব্যবস্থা নিতে না পেরে ক্ষুব্ধ অর্থমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/566227 | নিজেদের লোকদের সমর্থনের কারণে সোনালী ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাজেট পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সোনালী ও বেসিক ব্যাংকে কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনার বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। একজন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে (ডিএমডি) জেলে নেওয়া হয়েছে। তিনি সেখানে মারা গেছেন। একজন জেলে আছেন। একজনকে আমি জেলে নিতে চেষ্টা করেও নিতে পারিনি। কারণ তাঁদের প্রতি আমাদের লোকদের সমর্থন রয়েছে। এ জন্য আমি ক্ষুব্ধ।’অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসিক ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। তারা কেলেঙ্কারির বিষয়গুলো অনুসন্ধান করছে। প্রতিবেদন পেলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যেন দেশ ছাড়তে না পারে, এ জন্য এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। | 148,990 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৯:১০ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৯:২৫ | -1 | null | খায়রুল হকের অপসারণ দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1285401 | বাংলাদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে অপসারণ ও গ্রেপ্তার দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে এ দাবি তোলা হয়েছে।আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। একই সঙ্গে ওই রায় নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট শিগগিরই প্রকাশের দাবিতে আগামী রোববার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি।প্রত্যেক জেলা বারে ফোরামের নেতা-কর্মীদের এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘যাঁরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন, যাঁরা সংবিধানে বিশ্বাস করেন, যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাঁরা যেন এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।’সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘খায়রুল হক সাহেব তাঁর ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ে বলেছেন, বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার পরে কোনো সরকারি দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। অথচ তিনি নিজেই নিজের রায় ভঙ্গ করে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন।’মাহবুব উদ্দিন বলেন, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী মাত্র। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তাঁর বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে, কোড অব কনডাক্ট আছে। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে খায়রুল হক সাহেবেরও কোড অব কনডাক্ট আছে। তিনি কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন না, তিনি চাকরির শর্ত ভঙ্গ করেছেন। রায়ের সমালোচনা করে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টকে ‘বিতর্কিত’ করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হারুনুর রশীদ, সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ। | 332,015 |
কুড়িগ্রাম অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৪ | ০৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৫ | কুড়িগ্রাম,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | রৌমারীর তিন ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/594502 | কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা, বন্দবের ও চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন গতকাল বুধবার শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আট বছর পর নির্বাচন হওয়ায় ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় কর্মকর্তারা বলেন, সর্বশেষ ২০০৩ সালে বন্দবের ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। ওই বছরেই দুটি ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে চরশৌলমারী নামে একটি নতুন ইউনিয়ন গঠিত হয়। সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মামলা চলায় এই দীর্ঘ সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৬০ হাজার ৫৬২ জন। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৬৫ জন মহিলা ও ২৯ হাজার ৪৯৭ জন পুরুষ ভোটার। রৌমারী উপজেলার ওই তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ২৪০ জন প্রার্থী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২০ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৫৩ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ১৪৭ জন প্রার্থী ছিলেন। গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। উপজেলা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নির্বাচনে মোট ২৭টি কেন্দ্রে ১৭৫টি বুথ ছিল। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপির সদস্য মোতায়েন করা হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন ২৯৭ পুলিশ, দুই প্লাটুন বিজিবি, এক প্লাটুন র্যাব ও ৪৫৯ জন আনসার-ভিডিপির সদস্য। | 158,026 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০১ জানুয়ারি ২০১৬, ১৬:২১ | ০১ জানুয়ারি ২০১৬, ১৬:২১ | পাকিস্তান | 0 | পাকিস্তানে নয় জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/international/article/727933 | পাকিস্তানের সামরিক আদালত আজ শুক্রবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগে নয় জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সামরিক আদালতে বিচার করে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩০০ ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। অবশ্য সমালোচকেরা এ বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান আজ শুক্রবার নয় জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই জঙ্গিরা ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল।মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এ জঙ্গিদের তালিকায় রয়েছে তালেবান সদস্য মোহাম্মদ ঘুরি এবং হরকাতুল জিহাদের কর্মী আবদুল কাইয়ুম ও সিপাহ-ই-সাহাবা পাকিস্তানের কয়েকজন সদস্য। মোহাম্মদ ঘুরি রাওয়ালপিন্ডির একটি মসজিদে হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত আর আবদুল কাইয়ুম ইন্টার সার্ভিস ইনটেলিজেন্সের কার্যালয়ে গাড়ি বোমা আক্রমণের জন্য অভিযুক্ত। এ ছাড়া সেনা সদস্যদের ওপর হামলার দায়ে দুই জঙ্গিকে এবং শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার দায়ে সিপাহ-ই-সাহাবার পাঁচ সদস্যকে ফাঁসির এ দণ্ড দেওয়া হয়। তথ্যসূত্র: এএফপি | 188,295 |
সুজন ঘোষ, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১০:২১ | ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১০:২৭ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | এই কষ্টের শেষ কোথায়? | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1362136 | চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে কষ্ট যেন শেষ হচ্ছে না। সাত মাস ধরে বেহাল সড়কটিতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী। গত এপ্রিল থেকে জোয়ারজনিত ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বেশ কয়েক দিন এই সড়ক ডুবেছিল। ওই সময় থেকে সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ে।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়কের বেপারিপাড়া এলাকায় দেখা যায়, চার লেনের সড়ক হয়ে গেছে দুই লেন। এই এলাকার প্রায় আধা কিলোমিটারজুড়ে দুপাশে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে জমে আছে পানি। এসব পানি পরিণত হয়েছে মশার প্রজননকেন্দ্রে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে গর্তে পুঁতে দেওয়া হয়েছে গাছের ডাল। কোনো রকম হেলেদুলে ধীরগতিতে চলাচল করছে গাড়ি। এ ছাড়া বিভিন্ন অংশে কাদাও জমে আছে।সড়কের পাশের উডি ফার্নিচার নামের একটি আসবাবপত্র বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. শফিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সড়কের দুরবস্থা ও জলাবদ্ধতার কারণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। আগে মাসে ৮-১০ লাখ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২-৩ লাখ টাকার মালামাল বিক্রি হয় না। আবার পানিতে ডুবে দোকানের লাখ লাখ টাকা দামের মালামালও নষ্ট হয়েছে। দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উৎপাতের কারণে দোকানে বসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাঁরা অতি দ্রুত এই সড়ক সংস্কার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানান সিটি করপোরেশনের প্রতি।দুই দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি তিন ফুট উঁচু এবং ছয় লেনে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জাইকার অর্থায়নে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার করা হবে। দুই পাশেই ফুটপাত ও নালা থাকবে। শুষ্ক মৌসুমেই মূল কাজ সম্পন্ন হবে। তখন বর্তমানের দুর্ভোগ আর থাকবে না।সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।চট্টগ্রাম নগরের শেখ মুজিব সড়কের বাদামতলী মোড় থেকে শুরু হয়ে পোর্ট কানেকটিং (পিসি) রোডের ছোটপুল এলাকা পর্যন্ত সড়কটি ‘আগ্রাবাদ এক্সেস রোড’ নামে পরিচিত। চট্টগ্রামের ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে আগ্রাবাদ থেকে হালিশহর, নয়াবাজার, সাগরিকা, অলংকার মোড়, এ কে খান গেট হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আসা-যাওয়া করা যায়।ভাঙা সড়কের যন্ত্রণা ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য চলতি বছরের গত ২৬ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদের বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বেপারিপাড়া এলাকায় মানববন্ধন করেন। তাঁরা অতি দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান।গতকাল দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, শান্তিবাগ এলাকায় সড়কের দুপাশেই সড়কে ছোট-বড় গর্ত। কিছু গর্ত ইট দিয়ে কোনো রকম ভরাট করা হয়েছে। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে অনেক গাড়িচালক সড়কের আরেক প্রান্তের অন্য লেন ব্যবহার করছেন।শান্তিবাগ এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানের নিরাপত্তারক্ষী মোহাম্মদ আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দোকানের সামনের গর্তে প্রায় সময় রিকশা উল্টে গিয়ে যাত্রীরা আহত হন।ভাঙা সড়কের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ দ্রুত নষ্ট হচ্ছে বলে জানান বাসচালক আফতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, এই সড়কে গাড়ি চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। গাড়ি উল্টে কখন দুর্ঘটনা ঘটে এই চিন্তায় থাকেন তাঁরা।আগ্রাবাদের এই সড়কের দুপাশে ফার্নিচার, মুদির দোকান, ইলেকট্রনিকসামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় পাঁচ শ দোকান রয়েছে। এই সড়কের দুই পাশে প্রায় ৬০টি ফার্নিচারের দোকান ও শোরুম রয়েছে। আসবাবের জন্য এগুলোর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে নগরবাসীর কাছে। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে বিক্রি কমে গেছে।শান্তিবাগ এলাকার শৈল্পিক ফার্নিচার শোরুমের বিক্রয় নির্বাহী রণবীর প্রথম আলোকে বলেন, সড়কের বাজে অবস্থার কারণে আগের মতো ক্রেতা আসেন না। এখন দোকানের পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে নিজেদের বেতন নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। | 344,139 |
পাবনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ এপ্রিল ২০১৪, ১৬:২০ | ০৭ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৪৯ | পাবনা | null | ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন ও সম্ভাবনার দেশ’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/186181 | বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর দরিদ্র দেশ নয়, মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন ও সম্ভাবনার দেশ।’আজ রোববার দুপুরে পাবনা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও জেলার সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।পাবনা ভ্রমণ সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি যখন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করি, তখনই বলেছিলাম, আমি সারা দেশ ঘুরে বেড়াব, বাংলাদেশকে জানব। এরই অংশ হিসেবে পাবনায় আসা।’মজীনা বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, পাবনার কৃষি অর্থনীতি ভালো। এ জেলার একটি বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ দেখেছি, যা বিস্ময়কর। তবে আমার মনে হয়েছে, এই জেলার কৃষিপণ্য সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। কৃষকদের আরও লাভবান করতে এই কৃষিপণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।’মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত বছরের ২ নভেম্বর পাবনার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চান।এ সময় পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ফেসবুকে মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করার গুজব ছড়িয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু সাহাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৯টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত মামলাগুলোতে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আর আতঙ্ক নেই।এ ছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেলা প্রশাসক ও উপস্থিত সুধীজনদের কাছে পাবনার অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কৃষকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং প্রাথমিক শিক্ষাসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চান।দুপুরের খাবারের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেলার প্রাচীন ভবন শীতলাই হাউস, তারাশ ভবন, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ বেশকিছু প্রাচীন নিদর্শন পরিদর্শন করেন। | 63,708 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ মার্চ ২০১৭, ০০:৩৪ | ২৯ মার্চ ২০১৭, ০১:৩৪ | বিশাল বাংলা | 0 | কুপিয়ে আহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1124586 | জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ দুজনকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার কান্দারপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান ও বাজারের দোকানি জুলফিকার। তাঁদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে। সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি | 307,729 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৭ | ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৮ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,অপরাধ | 0 | যাত্রীবেশে ছিনতাই, ৩ জনকে ধরে পুলিশে দিল জনতা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1006999 | যাত্রীবেশে অটোরিকশায় ওঠেন তাঁরা। পরে সুযোগ বুঝে অন্য যাত্রীর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে টাকা, মুঠোফোন ছিনতাই করে নেমে পড়েন। এ কাজে জড়িত থাকেন অটোরিকশার চালকও। এ রকম তিন ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। গত রোববার রাতে চট্টগ্রামের মুরাদপুর-হাটহাজারী সড়কের আমিন জুট মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এই সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাড়ায় একাধিক যাত্রী তোলা হয়।গ্রেপ্তার করা তিন ছিনতাইকারী হলেন অটোরিকশার চালক মিজান হোসেন, যাত্রীবেশে অটোরিকশায় ওঠা মো. কামাল ও মো. রিয়াজ।ঘটনার শিকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী আলী উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মুরাদপুর থেকে হাটহাজারী যাওয়ার জন্য রোববার রাত আটায় একটি অটোরিকশায় ওঠেন তিনি। কিছু দূর যাওয়ার পর মুরাদপুর রেলক্রসিং গেট থেকে আরেক যাত্রীকে তোলেন চালক। আরও কিছু দূর যাওয়ার পর আতুরার ডিপো এলাকা থেকে আরেকজনকে অটোরিকশায় তোলা হয়। অটোরিকশাটি আমিন জুট মিল এলাকায় পৌঁছার পর যাত্রীবেশে ওঠা দুই ব্যক্তি তাঁর চোখে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেন। এরপর একজন তাঁর মুখ চেপে ধরেন আর অন্যজন হাত ধরে রাখেন। তাঁদের কাছে ছুরি থাকায় তিনি ভয়ে চিৎকার করেননি। তাঁর কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন ও চার হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তাঁরা। পরে অটোরিকশা থেকে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেন তাঁরা। এ সময় তিনি চিৎকার করলে রাস্তায় থাকা লোকজন অটোরিকশাটি আটকান। পরে চালকসহ তিনজনকে ধরে পিটুনি দিয়ে টহল পুলিশের কাছে তুলে দেন।বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুহসীন বলেন, তিনজনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও দলের আরেক সদস্য মো. আসাদ পালিয়ে যান। তিনি চালকের পাশে বসা ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার করা আসামিরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীবেশে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। | 259,078 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১৩ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১৩ | বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ | 0 | ভালোবাসা দিবসে যাত্রা শুরু লাভেলো আইসক্রিমের | http://www.prothom-alo.com/economy/article/769816 | বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে গতকাল রোববার থেকে দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো লাভেলো আইসক্রিম নামে নতুন একটি পণ্যের। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই আইসক্রিমের বিপণন কার্যক্রম চালু করেছে লাভেলোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাওফিকা ফুড অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। দেশের আইসক্রিম বাজারে লাভেলো ষষ্ঠ দেশীয় প্রতিষ্ঠান।লাভেলোর বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাওফিকা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দাঁতো একরামুল হক, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মমোতাজুল ইসলাম, হেড অব অপারেশনস পি ডব্লিউ গুনাপালা, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা পারভেজ হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের বাজারে সর্বনিম্ন ১২ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪৫ টাকায় লাভেলোর বিভিন্ন স্বাদের আইসক্রিম পাওয়া যাবে। ৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ময়মনসিংহের ভালুকায় লাভেলো আইসক্রিম কারখানা স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে বর্তমানে সরাসরি কর্মরত আছেন ২০০ জন। বিপণন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকালের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ‘লাভেলো ডে’ হিসেবে পালন করে প্রতিষ্ঠানটি।একরামুল হক বলেন, ‘লাভেলো আইসক্রিম বিপণনের সব প্রস্তুতি শেষ করে রাখা ছিল। শুধু এ দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। আজ (রোববার) ভালোবাসার দিনে এই ভালোবাসার আইসক্রিমের যাত্রা শুরু হলো।’অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, এই কারখানায় চিনি ও পানি ছাড়া আইসক্রিম উৎপাদনে ব্যবহৃত দুধসহ অন্য সব উপকরণ ও কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। দুধ কেন দেশীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে তাওফিকা ফুডসের এমডি বলেন, ‘নিজস্ব খামার থেকে ভবিষ্যতে দুধ সংগ্রহের পরিকল্পনা আমাদের আছে।’ | 202,085 |
বরিশাল অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ আগস্ট ২০১৩, ০২:৩৫ | ০৩ আগস্ট ২০১৩, ০২:৩৭ | অপরাধ,বরিশাল বিভাগ,বাবুগঞ্জ,রাজনীতি | 0 | বরিশালে বিএনপির দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/34044 | বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় একই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ইফতার আয়োজন নিয়ে গতকাল শুক্রবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইফতার আয়োজনস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীনের সমর্থক ও বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ খান দুই দিন আগেই বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে গতকালের ইফতার মাহফিলের ঘোষণা দেন। পরে একই স্থানে বিএনপির সহসভাপতি সেলিমা রহমানের সমর্থক ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি আওলাদ হোসেনও ইফতার মাহফিলের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জয়নাল আবেদীনের আয়োজন করা ইফতার অনুষ্ঠানে যাতে কেউ যেতে না পারেন, সে জন্য আওলাদ হোসেন তাঁর দলবল নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। বিকেল পাঁচটার দিকে বিএনপির নেতা কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর এক সহযোগী দুটি মোটরসাইকেলযোগে সুলতান আহমেদ খান আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে রহমতপুর সেতুসংলগ্ন এলাকায় তাঁদের ধাওয়া দেন আওলাদ হোসেন ও তাঁর বাহিনী। ধাওয়া খেয়ে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান নজরুল ও তাঁর সহযোগী। পরে আওলাদের বাহিনী মোটরসাইকেল দুটি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর উভয় পক্ষ মারমুখী অবস্থান নেয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয় তাদের মধ্যে। পরে বিমানবন্দর থানার পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিএনপির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করেন, প্রথমে স্থানীয় বিএনপির নেতারা বাবুগঞ্জ কলেজ মাঠে ইফতারের আয়োজন করেন। পরে সেলিমা রহমানও একই স্থানে ইফতার আয়োজনের ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে তিনি ইফতার আয়োজন পণ্ড করার চেষ্টা করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে সেলিমা রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জালাল সিকদার ও পাপ্পু নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বাকাহিদ হোসেন জানান, সহিংসতার আশঙ্কায় বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। | 7,083 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ১৮:২৩ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ১৮:২৮ | রাজনীতি | null | ক্ষমতাচ্যুতির ভয়ে প্রধানমন্ত্রী এক চুলও নড়তে চান না: ফখরুল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/40720 | বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন প্রশ্নে সংবিধান থেকে এক চুল নড়লেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যোজন যোজন দূরে চলে যাবে। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী এক চুলও নড়তে চান না।আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। জবরদস্তি করে ক্ষমতা ধরে রাখা যায় না।’বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব আবদুস সালাম তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আবদুুস সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদ ওই সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সালাম তালুকদারের স্মরণে একটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ভিন্নভাবে একদলীয় শাসন—বাকশাল নিয়ে আসতে চায়। সেজন্য সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। নির্বাচন না দিলে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এটা সংবিধান হতে পারে না।ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকারের একগুঁয়েমি ও ক্ষমতা ধরে রাখার বাসনা দেশকে অন্ধকার গহ্বরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ‘ভয়ংকর দানবীয় ফ্যাসিস্ট শক্তি’ গণতন্ত্রের গলা চেপে ধরেছে।জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মুখে সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সৃজনশীল নেতৃত্ব, সততা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দৃঢ়তা আবদুস সালাম তালুকদারকে স্মরণীয় করে রেখেছে।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, জমিরউদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। | 10,460 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২৪ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২৬ | যুক্তরাজ্য | null | একজন হাসিখুশি মানুষের গল্প | http://www.prothom-alo.com/international/article/1558485 | হারমান গর্ডন পেশায় ঝাড়ুদার। কাজ করেন যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটিতে। ১২ বছর ধরে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পেশায় নিয়োজিত। কিন্তু যে গুণটি তাঁকে গণমাধ্যমের খবরে পরিণত করেছে তা হলো, কর্মক্ষেত্রে সদা হাসিখুশি থাকা।বিবিসি জানিয়েছে, গল্পটি চলতি বছরের মে মাসের। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির স্বীকৃত ফেসবুক পেজে হারমানকে নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়, যেখানে তাঁকে ‘সবচেয়ে প্রফুল্ল মনের মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই পোস্টের পর সূচনা হয় আরেক গল্পের।হারমানকে নিয়ে ওই পোস্ট দেখার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিসিন বিভাগের শিক্ষার্থী হাদি আল-জুবাইদি আরেকটি পোস্ট দেন, যেখানে হারমানের জন্য অর্থ সংগ্রহের ঘোষণা দেওয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ২৩০ জন শিক্ষার্থী অর্থ দান করেন। এতে দেড় হাজার পাউন্ড তথা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। পরে ওই অর্থ তুলে দেওয়া হয় হারমান ও তাঁর স্ত্রী ডেনিসের হাতে।হারমানের প্রতি শিক্ষার্থীদের এই ভালোবাসা তৈরি করে আরেকটি গল্পের। কারণ জ্যামাইকান এই নাগরিক গত ১০ বছরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নিজ দেশে যেতে পারেননি। শিক্ষার্থীদের এই অর্থে তিনি এক সপ্তাহের জন্য নিজ দেশে গেছেন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানেও সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি গল্পের। গল্পটি হারমানের মুখ থেকেই শোনা যাক।হারমান বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি দেশে থাকার সময় পাঁচ তারকা হোটেলেও ছিলাম। আমাদের ২৩তম বিবাহবার্ষিকী কাটিয়েছি হোটেলে। যখন হোটেলে ছিলাম তখন আশপাশের মানুষ ভাবত, আমি হাজার কোটিপতি।’এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হারমানের এই ভ্রমণ নিয়ে কয়েক দিন আগে ব্রিস্টলের ফেসবুকে আবার একটি পোস্ট দেওয়া হয়, যেখানে তাঁর দেশে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি বলা হয় ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে হারমান তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচ তারকা রিসোর্টে ছুটি কাটিয়েছেন। সেখানে একসঙ্গে তাঁদের ২৩তম বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন।’হারমানকে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেকেই দেখেন সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে। এক শিক্ষার্থীর মন্তব্য, ‘যদি কেউ সুখী মানুষ দেখতে চান তাহলে হাসিখুশি হারমানের কাছে গিয়ে দু-এক মিনিট সময় ব্যয় করে আসুন।’ | 377,435 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ মে ২০১৪, ০২:০৮ | ০১ মে ২০১৪, ০২:০৯ | রাজনীতি | 0 | আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরেরাই গুম-খুন করছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/205954 | আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরেরাই দেশজুড়ে খুন-গুমে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, দেশের কী অবস্থা! রাস্তা থেকে গাড়ি ছিনতাই হয়ে যায়। গাড়ি থেকে মানুষ তুলে নিয়ে যায়। স্বাধীনতার পর পরও দেশে এ অবস্থা ছিল।গতকাল বুধবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, বর্তমান সরকার এসব খুন-গুম বন্ধ করতে পারবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই এসব বন্ধ হবে। তিনি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খানের বরাত দিয়ে বলেন, তাঁদের মতো মানুষও বলছেন, দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয়।যুবলীগের নেতার নির্দেশে ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জঙ্গিরা পালিয়ে গেল, কানেকশন পাওয়া গেল যুবলীগের নেতার সঙ্গে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ—তাদের সম্পর্ক জঙ্গি, গুম, খুনের সঙ্গে।’জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান তাঁর বক্তব্যে বর্তমান সরকারকে ভারতের ক্রীতদাস হিসেবে আখ্যা দেন। তাঁর এই বক্তব্যে একমত জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, কারও ক্রীতদাস হওয়ার জন্য বা কারও আদেশ মানার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। এই ক্রীতদাসের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে আবার আন্দোলন শুরু করতে হবে।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৯-দলীয় জোটের নেতারা বক্তব্য দেন। | 69,999 |
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫২ | ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫২ | সাতকানিয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1008299 | চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রী এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। বিদ্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে এক যুবক তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। এ সময় ছাত্রীটির চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দাদের আসতে দেখে ওই যুবক পালিয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।সাতকানিয়া থানার এসআই হিরু বিকাশ দে বলেন, গ্রেপ্তার যুবক ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান।সাতকানিয়া থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, গ্রেপ্তার যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। | 259,833 |
প্রতিনিধি, বিরামপুর, দিনাজপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ২১:০২ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১৯ | আইন ও বিচার | null | দিনাজপুরে ধর্ষণচেষ্টার মিথ্যা মামলা, সাজাপ্রাপ্ত নারী গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1561127 | ধর্ষণচেষ্টার মিথ্যা মামলা করার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিনাজপুরের বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই নারী মিথ্যা মামলা করেছিলেন।ওই নারীর নাম নুরজাহান বেগম (৪৫)। তিনি বিরামপুর পৌর শহরের ঈদগাহ মহল্লার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলা থেকে নুরজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ওই মামলায় হয়রানির শিকার আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নুরজাহানের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ শতক জমি কেনেন তিনি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও জমি রেজিস্ট্রি দিতে টালবাহানা করতে থাকেন নুরজাহান। এ নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০০ সালের ৯ ডিসেম্বর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ও শ্লীলতাহানির মামলা করেন নুরজাহান। আদালত মামলাটি থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে আদেশ দেন। পরে দিনাজপুর জেলা আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা মামলা করায় আবদুর রাজ্জাক ২০১১ সালের ২১ আগস্ট নুরজাহানের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ২০১৫ সালে নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন দিনাজপুর জেলা আদালতের বিচারক। একই সঙ্গে নুরজাহানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ও শ্লীলতাহানির মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে মামলার বাদী নুরজাহান বেগম পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলা থেকে নুরজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। | 379,364 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ১৭ আগস্ট ২০১৪, ০০:৪৫ | ১৭ আগস্ট ২০১৪, ০০:৪৫ | বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ | 0 | কুমিল্লা ইপিজেডে জাপানি বিনিয়োগ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/292720 | সম্পূর্ণ জাপানি মালিকানাধীন জে বি নেটওয়ার্কস কোম্পানি লিমিটেড কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ (ইপিজেড) এলাকায় প্রায় ১৮ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে চামড়াজাত শিল্প স্থাপন করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাপানে জেটরোর সঙ্গে বেপজার স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের প্রতিফলন হিসেবে বেপজা এই কোম্পানির জন্য দুই হাজার ৩৫০ বর্গমিটারের কারখানা ভবন বরাদ্দ দিয়েছে। জেবি নেটওয়ার্কস কারখানায় এক হাজর ৭৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক বার্ষিক ১০ লাখ পিস চামড়াজাত বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ক্যামেরার ব্যাগ, ক্যামেরা লেন্স কেস, চামড়ার চাবুক, শিকল ইত্যাদি। এ উপলক্ষে সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) কার্যালয়ে বেপজা সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং জেবি নেটওয়ার্কস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফুজিকাওয়া মাসারু একটি লিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুহম্মদ হাবিবুর রহমান খান এবং বাংলাদেশে জেটরোর আবাসিক প্রতিনিধি কেই কাওয়ানো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।বাসস | 85,772 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১০ এপ্রিল ২০১৬, ০০:২৯ | ১০ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৪ | বিনোদন,চলচ্চিত্র | null | প্রথম ছবি ‘রুদ্র’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/824974 | অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে পিয়া বিপাশার। মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর প্রথম ছবি রুদ্র। বেশ কদিন হলো সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। তরুণ নির্মাতা সায়েম জাফর ইমামী জানান, আগামী ১৩ মে ছবি মুক্তির জন্য চেষ্টা করছেন তাঁরা। রুদ্র ছবিতে পিয়া বিপাশার বিপরীতে অভিনয় করেছেন এ বি এম সুমন।প্রথম ছবি নিয়ে পিয়া বিপাশা বলেন, ‘দারুণ রোমাঞ্চকর অনুভূতি। এই ছবির জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করতে হলো। সেই ২০১৪ সালে ছবিটির শুটিং শেষ হয়েছিল। এত দিন পর ছাড়পত্র পেল।’ ছবিটি নিয়ে আশাবাদী এর নির্মাতাও। তিনি মনে করেন, ছবির নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক সবাই নতুন। তাই সবাই কাজের প্রতি অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন।এরই মধ্যে একাধিক ছবির কাজে যুক্ত হয়েছেন মডেল ও নবাগত এই নায়িকা। সম্প্রতি আজিজুর রহমান পরিচালিত মাটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পিয়া বিপাশা। শিগগিরই কানাডায় ছবিটির শুটিং শুরু হবে। সেখানেই হবে ছবির বেশির ভাগ অংশের দৃশ্য ধারণ। এ ছাড়া রকিবুল আলমের পরিচালনায় মনের রাজা ছবির একটি গানের দৃশ্য ধারণেও অংশ নিয়েছেন এই অভিনয়শিল্পী।এর আগে শাকিব খানের বিপরীতে রাজনীতি নামে একটি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল পিয়ার। নানা কারণে ছবিটিতে কাজ করা হয়নি তাঁর। | 219,021 |
কাজী এস হোসেন | life-style | জীবনযাপন | ০৫ মে ২০১৭, ০০:০১ | ০৫ মে ২০১৭, ০০:১৬ | আপনার রাশিফল,রাশিফল | 0 | আপনার রাশিফল | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1168741 | আজ ৫ মে। আজকের এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি বৃষ রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৫ ও ৬। গুরুত্বপূর্ণ দিন বুধ ও শুক্রবার। শুভ রং—সবুজ, হলুদ, সাদা। শুভ রত্ন—চায়নিজ জেড, গোমেদ। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কার্ল মার্ক্স, রাজনীতিক জৈল সিং। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করতে পারে। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার অনুকূলে যেতে পারে। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। যাবতীয় কেনাকাটা শুভ।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)চাকরিতে কারও কারও পদোন্নতির সম্ভাবনা আছে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ। আজ কারও কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)বেকারদের কারও কারও বিদেশযাত্রার প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার পক্ষে যেতে পারে। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাত্রাপথে সতর্ক থাকুন।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া সুসংবাদ দিয়ে। জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে। আজ কারও কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আপনি একজন সংগীতশিল্পী হয়ে থাকলে আজ বিদেশ থেকে সম্মাননা পেতে পারেন। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। আর্থিক লেনদেন শুভ।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায়ে ঝুঁকি গ্রহণ করে লাভবান হতে পারেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। প্রেমের ব্যাপারে কেউ আপনার মনের দরজায় কড়া নাড়তে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া সুখবর দিয়ে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। আজ আপনার অর্থভাগ্য বিশেষ শুভ। প্রেমের ঝোড়ো হাওয়া আজ কারও কারও মনকে নাড়া দিতে পারে।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে বিরাজমান জটিলতা দূর হতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার মনের আকাশে জমে থাকা কালো মেঘ আজ দূর হতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ। বেকারদের কারও কারও বিদেশযাত্রার প্রচেষ্টা সফল হতে পারে।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। পারিবারিক সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে অন্যের মতামতকে আজ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)চাকরিতে কারও কারও বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হতে পারে। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য বিদেশ থেকে সম্মাননা পেতে পারেন। বেকারদের কারও কারও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। প্রিয়জনের মন পেতে হলে তার পছন্দের কোনো জিনিস উপহার দিন।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)দিনের শুরুতেই আর্থিক বিষয়ে কোনো সুখবর পেতে পারেন। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। ভালো লাগার মানুষটি আজ ভালোবাসার মানুষে পরিণত হতে পারে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। | 315,618 |
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২১ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২২ | বিশাল বাংলা | 0 | শীতবস্ত্র বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1073699 | মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বাংলাদেশ জনকল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ৫৫ জন চা-শ্রমিকের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার রশিদাবাদ চা-বাগানে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। রশিদাবাদ চা-বাগানের মণ্ডপ টিলায় শীতবস্ত্র বিতরণপূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জনকল্যাণ সোসাইটির সভাপতি সুজিত চন্দ্র নাথ। | 290,186 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মার্চ ২০১৬, ০২:২৭ | ০৭ মার্চ ২০১৬, ০২:২৮ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ | 0 | মিরপুরে গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/791245 | রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে ন্যাম গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে জানিয়া (১৫) নামের এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে পুলিশ ওই কোয়ার্টারের সামনে থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। কাফরুল থানা-পুলিশ জানায়, জানিয়ার মা ফুলবানু ওই কোয়ার্টারে আহসান হাবিব নামের এক সরকারির কর্মকর্তা বাসায় কাজ করেন। চার-পাঁচ দিন ধরে ফুলবানু অসুস্থ থাকায় গতকাল ওই বাসায় তাঁর মেয়ে জানিয়া কাজ করতে যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোয়ার্টারের সামনে স্থানীয় লোকজন উপুড় অবস্থায় এক কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে কাফরুল থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে ফুলবানু তাঁর মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন।জানিয়ার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায়। বাবার নাম ওসমান গণি। সে তার মায়ের সঙ্গে ৪৭৬/বি উত্তর ইব্রাহিমপুরে মায়ের সঙ্গে থাকত। ঘটনা তদন্তকারী কাফরুল থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, যে ভবনের সামনে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেই ভবনটি ১০ তলা। ধারণা করা হচ্ছে, ছাদ থেকে পড়ে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। তবে কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে না সে নিজেই লাফ দিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। | 208,501 |
অনলাইন প্রতিবেদক | entertainment | আজকের পত্রিকা | ২৩ জুলাই ২০১৪, ১৩:৩২ | ২৩ জুলাই ২০১৪, ১৩:৩৪ | টেলিভিশন | 0 | ঈদে রেদওয়ান রনির ‘ইউটার্ন’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/275410 | জনপ্রিয় নির্মাতা রেদওয়ান রনির পরিচালনায় এবারের ঈদে থাকছে দুই পর্বের ফিকশন ‘ইউটার্ন’। সোনিয়া হাসানের গল্পে এবং ইকবাল হাসান চৌধুরীর চিত্রনাট্যে নির্মিত এ ফিকশনে অভিনয় করেছেন মেহজাবিন, তৌসিফ মাহবুব, সাবেরি আলম, সাবিলা নূর, তানজিন তিশা, অ্যালেন শুভ্র, আফনান চৌধুরী, ইমরান আহমেদ, সুমন পাটোয়ারীসহ আরও অনেকে।রেদওয়ান রনি জানিয়েছেন, শুধু এই ফিকশনের জন্যই তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুট এবং স্টুডিও ফিফটি এইটের করা দুটো মনোমুগ্ধকর ট্র্যাক। ফিকশনের কাহিনি, সংলাপ, দুর্দান্ত মোটরবাইক স্টান্টসহ এর ট্র্যাক দুটি তারুণ্যের মন জয় করতে পারবে বলেই আশা করছেন নির্মাতা রনি।নিকেতন, আফতাবনগর, উত্তরা, শেরেবাংলা নগর, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় লোকেশনে মোজো প্রেজেন্টস ফিকশন ‘ইউটার্ন’-এর শুটিং হয়েছে। দুরন্ত তারুণ্যের শহুরে জীবনযাপনের ভিন্ন ভিন্ন নানা দিক নিয়ে গড়ে উঠেছে এর কাহিনি।‘ইউটার্ন’ ফিকশনের কাহিনিতে দেখা যাবে, উচ্ছল তারুণ্যের একটি দল নিজেদের ভুবনে ছুটে চলে। তারা বাইক স্টান্টসহ দুঃসাহসিক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। হঠাত্ এক অঘটন তাদের জীবনকে এলোমেলো করে দেয়। এলোমেলো জীবন থেকে ফিরে আসাই একসময় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে তাদের জন্য।ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন একুশে টেলিভিশনে রাত সাড়ে ১১টায় প্রচারিত হবে ‘ইউটার্ন’। | 80,011 |
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৫৯ | ১৯ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৫৯ | নান্দাইল,ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | ভুয়া চিকিৎসক, ভুল চিকিৎসা, শিশুর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/196033 | ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় গতকাল শুক্রবার ভুল চিকিৎসায় স্বাধীন (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ক্ষুব্ধ লোকজনের ভয়ে চিকিৎসক মো. রুহুল আমিন পালিয়ে যান। তাঁকে না পেয়ে লোকজন তাঁর ওষুধের দোকানের সাইনবোর্ড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।সরেজমিনে এলাকার অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বেলতৈল গ্রামের জাকির হোসেন ও আছমা খাতুন তাঁদের ছেলে স্বাধীনকে নিয়ে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন। তাঁরা নান্দাইলের দেওয়ানগঞ্জ বাজারে পৌঁছামাত্র ‘দেওয়ানগঞ্জ মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার’-এর মালিক মো. রুহুল আমিন শিশুটির অবস্থা খারাপ বলে তাঁদের ওই সেন্টারে ডেকে নেন। পরে তিনি চিকিৎসা শুরু করেন।আছমা বলেন, ‘আমার ছেলের লিভার এখনই ফেটে যেতে পারে ভয় দেখিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন রুহুল। এ সময় রুহুল একাধিক তরল সিরাপ ও বড়ি গুঁড়ো করে তাঁর ছেলেকে খাওয়ান। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় একাধিকবার ইনজেকশন দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর আমার ছেলের পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি দেখা দেয়। এভাবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চিকিৎসা চালানো হয়। রাইত তিনডার সময় বুজতাম পারি আমার বুকের ধন আর নাই। এ সময় আমি কান্না শুরু করলে রুহুল ডাক্তার আমাকে ধমকানো শুরু করেন।’তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার ভোরে আমাকে ও আমার মৃত শিশুটিকে নিয়ে রুহুল গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে কমপ্লেক্সের বারান্দায় আমাদের রেখে রুহুল পালিয়ে যান। পরে আমি সন্তানের লাশ কোলে নিয়ে দেওয়ানগঞ্জ মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারে আসি। এ সময় সেন্টারটি তালাবদ্ধ দেখতে পাই।’দেওয়ানগঞ্জ বাজারের লোকজন জানান, ওই শিশুর মায়ের কান্না শুনে উত্তেজিত হয়ে তাঁরা চিকিৎসকের পদবি-সংবলিত সাইনবোর্ডটি ভেঙে সেন্টারের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালান। এ সময় ক্ষুব্ধ লোকজন সার্ভিস সেন্টারটিতে তালা লাগিয়ে চাবি পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে রুহুলকে ভণ্ড চিকিৎসক হিসেবে অভিযুক্ত করে তাঁর বিচার দাবি করেন।রুহুল আমিন তাঁর সাইনবোর্ডে লিখেছেন, তিনি মেডিসিনে ডিপ্লোমাধারী। মা, শিশু, চর্ম ও যৌনরোগ অভিজ্ঞ। তবে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম খান জানান, মেডিসিনে ডিপ্লোমা নামে চিকিৎসাশাস্ত্রে কোনো ডিগ্রি নেই। এসব ভুয়া। এ বিষয়ে কথা বলতে রুহুল আমিনের মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটি কেটে দেন।নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। | 66,859 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৫, ১৮:৪০ | ০৩ অক্টোবর ২০১৫, ১৯:৪৮ | সরকার | null | ‘এটা জাতির সম্মান, মানুষের সম্মান’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/645325 | জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০ তম অধিবেশনে যোগদান শেষে আজ শনিবার দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুধারে উপচে পড়া দলীয় নেতা কর্মীদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এসে পৌঁছান, তখন তাঁকে বরণ করা হয় এক অন্য রকম আবহে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী গণভবনের সভাকক্ষে গিয়ে তাঁর সংবর্ধনায় আসা সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সংবর্ধনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘এটা জাতির সম্মান, মানুষের সম্মান।’ এর আগে বিমানবন্দর থেকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী এসে পৌঁছালে লেখক, চিত্রশিল্পী, সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটার, এভারেস্ট বিজয়ী, চিত্র পরিচালক, দলীয় নেতা-কর্মী এবং দেশের বিশিষ্টজনরা গানে গানে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রী গাড়ি থেকে নামার পর ফুল নিয়ে এগিয়ে যান সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৈয়দ হকের কুশল বিনিময়ের সময় যোগ দেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান। এ সময় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গন করে গেয়ে ওঠেন ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত…’ কলিটি। বন্যার সুর ছড়িয়ে পড়ে কণ্ঠে কণ্ঠে। বন্যার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে ওঠেন উপস্থিত সুধীজন। গান আর মুহুর্মুহু আনন্দধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা গণভবন। ভালোবাসায় আবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী স্তব্ধ হয়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবই জনগণের প্রাপ্য।’ এই আনন্দক্ষণে সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবিব, এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহিম ও নিশাত মজুমদার, চিত্রপরিচালক আশরাফ শিশির, ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান, বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ প্রমুখ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংসদ আব্দুস শহীদ, প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজও ছিলেন সেখানে। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের সঙ্গে গণভবনে প্রবেশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের নেতা মাহাবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী বিশিষ্টজনদের সাথে বেশ কিছু সময় কাটান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ‘এটি তাঁর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বের বিজয়। এটি তাঁর আরেকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।’ প্রধানমন্ত্রীর ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ এবং আইটিইউ পুরস্কার পাওয়াকে আনন্দের ও অহংকারের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান।আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা | 173,049 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ২০:৫৮ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ২১:০৫ | -1 | 0 | ভাঙা রেকর্ড ... আর কতো! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/748186 | বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেছেন, নারী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ভাঙা রেকর্ড বাজানোর মতো বছরের পর বছর একই দাবি তুলতে হচ্ছে। নারী আন্দোলনের দাবিগুলো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডায় যুক্ত না হলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে না। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আয়শা খানম। গৃহবধূর চোখ তুলে নিলে শুধু নারী সমাজের মাথা ব্যথা কেন হবে, নাগরিক সমাজ কেন এগিয়ে আসবে না-এ প্রশ্ন তোলেন তিনি। মহিলা পরিষদের দুদিন ব্যাপী জাতীয় পরিষদের সভা শেষে আজ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সভায় ৫৫টি জেলা থেকে ৬০০ প্রতিনিধি অংশ নেন। সভা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে জানানোর জন্যই ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ’ বিষয়ক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মূল বক্তব্য পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় কমিটির আন্দোলন সম্পাদক কাজী সুফিয়া আখ্তার। সংবাদ সম্মেলনে আয়শা খানম বলেন, জাতীয় পরিষদের সভায় জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধিরা কাজ করতে গিয়ে ওপর মহলের চাপের কথা বলেছেন। ওপর মহলের চাপ সম্পর্কে সবার জানা থাকলেও এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। জাতিসংঘের নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ বা সিডও সনদের গুরুত্বপূর্ণ ধারা থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহারের কথা বলা হচ্ছে গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে। বর্তমানে সংসদ অধিবেশন চলছে। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি তোলা হচ্ছে ১৯৯০ সাল থেকে। একই ভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের কথা বলা হলেও তা ক্রমশ বাড়ছেই। সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে ১৯টি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে (সংসদের চলতি অধিবেশনেই) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সরাসরি নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং আসনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি করা। এ ছাড়া প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দেওয়া, নারী নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা এবং ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার দাবিও রয়েছে। | 194,721 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মে ২০১৪, ১৫:৪৫ | ২১ মে ২০১৪, ১৮:৩২ | আইন ও বিচার | 0 | মোশাররফ ও মওদুদের মামলা নিম্ন আদালতে চলবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/221767 | বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে করা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন-সংক্রান্ত মামলার বিচার নিম্ন আদালতে চলবে।আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই দুজনের আপিল আবেদন খারিজ করে এই রায় দেন। এতে নিম্ন আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলতে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।২০০৭ সালের ৩ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোশাররফ ও মওদুদের সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেয়। পরে তাঁদের দেওয়া সম্পদের বিবরণীর বাইরেও দুদক জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য পায়। পরে এ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।খন্দকার মোশাররফ ও মওদুদ আহমদ দুদকের এই মামলা বাতিলের আবেদন করলে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করেন। বাসস | 74,818 |
রাফিয়া আলম | education | শিক্ষা | ০৫ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:১৩ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:১৩ | স্বপ্ন নিয়ে,মেধাবী | 0 | অনন্যা আনিষা | http://www.prothom-alo.com/education/article/115741 | ছোটবেলা থেকেই আবৃত্তি করেন। ক্লাস সেভেনে যখন পড়তেন, বিতর্ক করেন তখন থেকে। এখন পর্যন্ত ৩২ বার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নূরেন ফাইজা আনিষা। কলেজে পড়ার সময় আন্তকলেজ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে দুবার চ্যাম্পিয়ন হন। এখন পড়ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষে।আনিষা ২০১২ সালে ভারত ও মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত দুটি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গিয়েছিলেন বুয়েটের প্রতিনিধি হয়ে। তার আগে ২০১১ সালে এশিয়ান ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বিতর্কে অংশ নেন তিনি। এ বছরের মে মাসে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (আইইউটি) অনুষ্ঠিত ‘সেনোভেশন’ নামক কেস স্টাডি চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন তিনি। গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। সমপ্রতি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (ডুয়েট) অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন’ শীর্ষক সম্মেলনে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাঁর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি কাজ করেন বিভিন্ন কর্মশালার জন্য।আনিষা পড়তেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ভিকারুননিসা নূন ডিবেটিং ক্লাবে বিতর্ক প্রশিক্ষকের কাজ করেছেন ২০০৯-২০১০ সালে। ভিকারুননিসা নূন ডিবেটিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ২০১০-২০১১ সালে। সেই সময় ভিকারুননিসা নূন সায়েন্স ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন। ভিকারুননিসা নূন ডিবেটিং ক্লাবে তাঁর অবদানের জন্য ‘অ্যাওয়ার্ড অব রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং কনট্রিবিউশন টুওয়ার্ডস দ্য ক্লাব’ পুরস্কারটি দেওয়া হয় তাঁকে।অর্জনের তালিকায় আছে বিতর্ক এবং উপস্থিত বক্তৃতায় জাতীয় পর্যায়ে পাওয়া দুইটি স্বর্ণপদক। জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২০০৬ সালে। আবৃত্তিতে শিশু একাডেমীর বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। এ ছাড়া আন্তকলেজ সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় এবং আন্তস্কুল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় আবৃত্তি করে পেয়েছেন পুরস্কার।তাঁর প্রিয় কবির তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। জীবনানন্দ দাশ, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ আর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ভালো লাগে তাঁর। স্প্যানিশ ভাষা শিখছেন শখ করে। ছোটবেলায় চাইতেন শিক্ষক হতে। এখন নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি পড়াতে চেষ্টা করেন এমন শিশুদের, যাদের গৃহশিক্ষক রেখে পড়ার সামর্থ্য নেই।পানি কেন সম্পদ একদিন মানুষ তা বুঝবে, এমন স্বপ্ন দেখেন আনিষা। বাংলাদেশের কৃষি, অর্থনীতি, জলবায়ু—সবকিছুই পানির ওপর নির্ভরশীল। পানিসম্পদ কৌশল নিয়ে পড়তে প্রতিবছর ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন বুয়েটে। পানিসম্পদ নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মে আরও মানুষ কাজ করুক, এমনটাই চাওয়া তাঁর। | 41,344 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৪:০৯ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৫:২৮ | আইন ও বিচার | null | ২৪ এপ্রিল অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/780322 | জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২৪ এপ্রিল জমা দিতে হবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ এ আদেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন দিতে এর আগেও কয়েক দফায় সময় নিয়েছে সিআইডি।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলায় আজ অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি তা জমা দেয়নি। আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪ তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশের হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও মৃত্যুসনদ পাওয়ার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ মামলাটি করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। | 204,888 |
মুনির হাসান, হংকং থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জুলাই ২০১৬, ০২:৩৬ | ১০ জুলাই ২০১৬, ০২:৩৭ | -1 | 0 | হংকংয়ে আজ শুরু হচ্ছে গণিতের বিশ্ব আসর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/909973 | হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ রোববার বিকেলে শুরু হচ্ছে গণিতের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) ৫৭তম আসর। ১১১টি দেশের প্রাক্–বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছয় শতাধিক খুদে গণিতবিদ মেধার এ লড়াইয়ে অংশ নেবে।আয়োজকেরা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবারের আসরটি হবে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন। এবার প্রথম পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা নেপালের। ফলে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশ গণিত অলিম্পিয়াডে যুক্ত হলো।গতকাল শনিবার সকাল থেকে প্রতিযোগীরা নিজ নিজ দেশের উপদল নেতাদের সঙ্গে গণিত অলিম্পিয়াডের অনুষ্ঠানস্থল হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেছে। বাংলাদেশি ছয়জন খুদে গণিতবিদকে নিয়ে আমরা হংকং বিমানবন্দরে পৌঁছাই গতকাল বেলা তিনটায়। সেখানে আইএমওর অভ্যর্থনাকারীদের সঙ্গে আমাদের স্বাগত জানান গাইড মাহিয়ান মাকসুদ। চট্টগ্রামের ছেলে মাহিয়ান তিন মাস বয়স থেকেই হংকংয়ে বেড়ে উঠেছেন। বর্তমানে হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যারোস্পেস প্রকৌশল বিদ্যা পড়ছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক-স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের তিনটি হলে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের রাখা হয়েছে। হল-৭-এর কয়েকটি কক্ষে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে। দলনেতা মাহবুব মজুমদার ১২ জুলাই এ হলে এসে থাকবেন। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে এ হলগুলোর অবস্থান। তবে গরম পড়েছে বেশ। সন্ধ্যাবেলাতেও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি।গতকাল রাত আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ৮০টি দলের সদস্যরা হংকং এসে পৌঁছেছে। আজ দুপুরের আগেই অন্যরাও এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হংকংয়ের শিক্ষামন্ত্রীর থাকার কথা রয়েছে। কাল সোমবার সকাল নয়টায় আয়োজনের প্রথম দিনের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সাড়ে চার ঘণ্টায় তিনটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে।বাংলাদেশ গণিত দলের ছয় সদস্যের দলটি এবার নিয়ে দ্বাদশবারের মতো আইএমওতে অংশ নিচ্ছে। দলের সদস্যরা হলো আসিফ-ই-ইলাহী (এমসি কলেজ, সিলেট), মো. সানজিদ আনোয়ার (আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ), সাজিদ আখতার তূর্য (সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ), মো. সাব্বির রহমান (নটর ডেম কলেজ), এ এম নাঈমুল ইসলাম (বরিশাল জিলা স্কুল) ও আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী (ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম)।ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সারা দেশে গণিত উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে ৫৭তম আইএমওর জন্য ছয়জনের বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচন ও এর আনুষঙ্গিক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। | 238,852 |
অলকানন্দা রায় | life-style | জীবনযাপন | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:০৭ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:০৭ | অধুনা,পরামর্শ | null | ওজন কমাতে আপনি কি প্রস্তুত? | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/642124 | বাইরে বেরোলে প্রায়ই শুনতে হয়, আপনি বেশ মোটা হয়ে গেছেন। কে না চায় মেদহীন সুস্থ শরীর। মোটা হয়ে গেছেন, মোটা মোটা লাগছে—এমন কথা শুনতে শুনতে একদিন তাই ঠিক করেন ওজন কমিয়ে ফেলবেন। এই ভাবনায় কমিয়ে দিলেন খাওয়াদাওয়া। কিন্তু বেশি দিন এভাবে কম কম খেয়ে থাকা সম্ভব হয় না। শরীর দুর্বল হলো। শেষ পর্যন্ত কম খেয়ে ডায়েট করা বাদ দিতে হলো।ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত খাওয়া, বিশেষ করে চর্বি, ক্যালসিয়াম ও ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে ওজন বাড়ে। শারীরিক পরিশ্রম কম হলে শরীরে চর্বি জমে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে।চর্বিজাতীয় খাবার, যেমন: মাখন, তেল—এগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো হলেও এর যে প্রয়োজন নেই, তা ঠিক নয়। শরীরের জন্য এগুলোও অপরিহার্য। কিন্তু তা নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে। এর বেশি হলেই ওজন বেড়ে যায়। এ জন্য অনেক সময়ে দেখা যায়, ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে।কতটুকু খেতে পারবেন, সেই পরিমাণ ভালোভাবে জানতে হবে। তারপর একটা ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা। তাহলেই কেবল সফলভাবে ওজন কমানো সম্ভব।ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করতে গিয়ে কিছুদিন পর ছেড়ে দেন অনেকে। এ বিষয়ে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো বলেন, ডায়েট সম্পর্কে সচেতন না হয়ে, মানসিক প্রস্তুতি না নিয়ে হুট করেই খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দেন কেউ কেউ। এ কারণে কিছুদিন পরে দেখা যায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সারাক্ষণ মাথা ব্যথা করছে, শরীর খুব দুর্বল লাগছে, চুল পড়ে যাচ্ছে, নখ ভেঙে যাচ্ছে, ত্বকের স্বাভাবিক সজীবতা হারিয়ে খসখসে ভাব চলে আসে। কেমন মানসিকভাবেও অনেকে ভেঙে পড়েন। এতে অনেকে হাল ছেড়ে দিয়ে ডায়েট করা বাদ দেন। আবার অনেকে যখন-তখন, এটা-সেটা না খেয়েও থাকতে পারেন না বলেই ছেড়ে দেন।চর্বিজাতীয় খাবার, যেমন: মাখন, তেল—এগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো হলেও এর যে প্রয়োজন নেই, তা ঠিক নয়। শরীরের জন্য এগুলোও অপরিহার্য। কিন্তু তা নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে।আখতারুন নাহার মনে করেন, এগুলো কোনো কাজের কথা নয়। বুদ্ধিমানের কাজ হলো প্রথমে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে বাড়তি ওজন কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া। শুরুতে প্রতিদিনের খাবার থেকে একটু একটু করে খাবার কমাতে হবে। এটা এমনভাবে করতে হবে যেন শরীর জানতে না পারে যে তাকে কম খাবার দেওয়া হচ্ছে। এতে শরীরের জন্য মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়। শরীরও দ্রুত অভ্যস্ত হতে থাকে। বাড়তি মেদও কমতে থাকে। যেমন একজন ব্যক্তি প্রতিদিন তিনটি রুটি খেতেন। ওজন কমানোর জন্য শুরুতে আড়াইটে রুটি খাবেন অথবা যে পরিমাণ ভাত তিনি খেতেন, প্রতিদিন এক-দুমুঠো করে সরিয়ে রেখে বাকিটা খেয়ে নেবেন। এতে শরীর ও মন দুটোই অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। শরীর কষ্ট পাবে না আর ওজনও কমতে থাকবে। এই রকম ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে ডায়েটিং ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। | 172,467 |