author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ০২:০৩ | ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ০২:০৪ | -1 | 0 | সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/840160 | সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমাল সরকার। এর মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে অকটেন ও পেট্রল প্রতি লিটারে ১০ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩ টাকা করে কমানো হয়েছে।গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর নতুন এই দাম কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এখন ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা এবং অকটেনের দাম ৮৯ ও পেট্রলের দাম হবে ৮৬ টাকা। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের সময় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন প্রতি লিটার অকটেন ৯৯, পেট্রল ৯৬ এবং কেরোসিন ও ডিজেলের দাম ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতন হলে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি উঠলেও সরকার তা কমায়নি। গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অন্য সব জ্বালানি তেলের দামও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। | 223,389 |
মো. সাইফুল্লাহ | entertainment | বিনোদন | ০২ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৩৯ | ০২ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৪৫ | আলাপন,বিনোদন | 0 | ‘স্বপ্ন দেখি সীমানা পেরোনোর’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/52164 | মিলন। টিভির অভিনয়শিল্পী। এখন অভিনয় করছেন চলচ্চিত্রেও। আজ এনটিভিতে প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক নীল রঙের গল্প। নাটকটিতে অভিনয় করছেন তিনি।নীল রঙের গল্প...নাটকটিতে অভিনয় করছি মজনু চরিত্রে। ‘লাইলী-মজনু’র মজনু, তবে এই সময়ের প্রেক্ষাপটে। প্রেম যেমন সর্বজনীন, তেমন লাইলী-মজনু, দেবদাস-পার্বতী, রোমিও-জুলিয়েট চরিত্রগুলোও আমার কাছে সর্বজনীন মনে হয়। প্রতিটি মানুষের ভেতরই একজন মজনু কিংবা একজন রোমিও থাকে, শুধু প্রেক্ষাপটটা বদলায়। যেহেতু গল্পটা একটু ভিন্ন, এখন পর্যন্ত দর্শক নাটকটা খুব পছন্দ করেছে। বেশ সাড়াও পাচ্ছি।যদি আমার জীবনটা গল্প হতো...প্রথমত আমার মনে হয় না আমি এমন জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, যেখান থেকে আমাকে নিয়ে গল্প হতে পারে। গল্প বা নাটকে আমরা অজানাকেই জানার চেষ্টা করি। সেদিক থেকে ভাবলে, দর্শকের হয়তো আমার জীবনের ছোট ছোট গল্প দেখতে ভালোই লাগবে।নাটক-সিনেমা, কাটছে ব্যস্ত সময়...আমার শুরু মঞ্চ থেকে। এখন তো নাটক-সিনেমা দুটোই সমানতালে করছি। ভবিষ্যতেও এমনটাই করে যাওয়ার ইচ্ছা। তবে ব্যস্ততার জন্য মঞ্চে এখন আর কাজ করতে পারছি না।যে ছবিগুলো হাতে আছে...চারটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। রোমান্স, ভালোবাসা সীমাহীন, ওয়ান ওয়ে আর ময়নামতি। এ ছাড়া যৈবতী কন্যার মন নামে সরকারের অনুদানের একটি ছবিতে কাজ করা নিয়েও কথা চলছে।নিজেকে নিয়ে নিরীক্ষা...‘এক্সপেরিমেন্ট’ করতে তো সব সময় ভালোবাসি। যেকোনো চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে প্রথমে দেখি আমার পছন্দ হচ্ছে কি না, তারপর দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও ভাবতে চেষ্টা করি। কেননা প্রত্যেক শিল্পীরই একটা নিজস্বতা থাকে। দর্শক তাঁকে একভাবে দেখে অভ্যস্ত, কিংবা হয়তো অনেক রকম চরিত্রে দেখতে চায় না। যদি মনে হয় দর্শকের ভালো লাগাটা বাড়বে, তাহলে কাজ করি।আসছে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আমার অভিনীত নাটক...এরই মধ্যে প্রায় ১৫টি নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে।ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায়, দর্শকের সাড়া...আমার দুটি ছবি দেহরক্ষী আর পোড়ামন, দুটোই প্রশংসা পেয়েছে। সুতরাং দর্শক যে আমাকে বড় পর্দায় দেখতে পছন্দ করছে, সেটা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি। এখন স্বপ্ন দেখি সীমানা পেরোনোর। দেশের বাইরেও আলোচিত হবে, এমন ছবি করতে চাই।মো. সাইফুল্লাহ | 21,230 |
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ আগস্ট ২০১৭, ০৪:০৩ | ০৬ আগস্ট ২০১৭, ০৪:০৪ | -1 | 0 | মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে জখম, চার দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1278676 | রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা মনজুল হক শাহকে (৬৫) পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় গত চার দিনেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মনজুল গত বৃহস্পতিবার চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঘৃলাই শাহ্পাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মনজুল তাঁর ১৯ শতক জমি হালচাষের জন্য একই গ্রামের আক্কাস আলীর সঙ্গে ৪০০ টাকায় চুক্তি করেন এবং সেই টাকা তিনি পরিশোধও করেন। গত বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মনজুলের বাড়িতে গিয়ে আক্কাস জমি হালচাষ বাবদ অতিরিক্ত আরও ৫০ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালে আক্কাস ও তাঁর লোকজন মুক্তিযোদ্ধা মনজুলকে লাঠি দিয়ে পেটান। পরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।ওই মুক্তিযোদ্ধার নাতি শাহীন বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতিয়ার রহমান আসামিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করছেন না। আসামিরা মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।’ অভিযোগ অস্বীকার করে আতিয়ার বলেন, আসামিরা বাড়িতে নেই। পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।তবে আক্কাস মুক্তিযোদ্ধা মনজুলকে পেটানোর কথা অস্বীকার করেছেন। | 331,006 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ৩০ অক্টোবর ২০১৩, ০১:২৮ | ৩০ অক্টোবর ২০১৩, ০১:২৮ | খেলা,দেশের ক্রিকেট | 0 | কাল থেকে আবার প্রিমিয়ার লিগ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/60688 | আগামীকাল আবার মাঠে ফিরছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। গতকাল সিসিডিএম পরিবর্তিত নতুন সূচি ঘোষণা করেছে। অষ্টম রাউন্ড ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর, নবম রাউন্ড ২ ও ৩ নভেম্বর, দশম রাউন্ড ৫ ও ৬ নভেম্বর এবং একাদশ রাউন্ডের খেলা হবে ৭ ও ৮ নভেম্বর। কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। | 23,968 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২১:২২ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২১:২৪ | খবরাখবর | null | এলন মাস্কের স্বয়ংক্রিয় ট্রাক ‘টেসলা সেমি’ | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1438241 | মানুষ বহনের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ে বেশ তোড়জোড় দেখা গেলেও মালামাল পরিবহনের ট্রাকের উন্নয়নে খুব একটা আগ্রহ এত দিন দেখা যায়নি। কাজ যে একদম হয়নি, তা না। তবে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্কই প্রথম মহল গরম করেছেন। এক অনুষ্ঠানে বৈদ্যুতিক ট্রাক টেসলা সেমি প্রকাশ করে বলেছিলেন, সেমি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিরাপদ, সবচেয়ে আরামদায়ক, সবচেয়ে শক্তিশালী এবং মাইলপ্রতি সবচেয়ে কম জ্বালানি খরচ করা ট্রাক।* বৈদ্যুতিক ট্রাকটি ৮০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ৩৭ টন পর্যন্ত মালামাল বহন করতে পারে* এই ৩৭ টন নিয়েই ০ থেকে ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতিবেগ পাওয়া যাবে মাত্র ২০ সেকেন্ডে। আর খালি হলে এই গতি পেতে সময় লাগবে মাত্র ৫ সেকেন্ড* দীর্ঘযাত্রায় একটানা অনেক ওজন বহন করে ট্রাক। তাই যেকোনো সময় বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর সে জন্য টেসলার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, প্রথম দশ লাখ মাইলে টেসলা সেমি বিকল হয়ে পড়বে না* ৩০ মিনিটের চার্জে ৪০০ মাইল পর্যন্ত চলবে* ট্রাকটির স্বয়ংক্রিয় বা অটোপাইলট ব্যবস্থায় রাস্তার লেন মেনে চলে, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রেকও কষতে পারে* ট্রাকটির চার চাকার জন্য আলাদা চারটি মোটর রাখা হয়েছে। আর তা নিয়ে এলন মাস্ক মজা করতেও ছাড়েননি-‘কোনোভাবে যদি দুটি মোটর নষ্টও হয়ে যায়, তবু এটা ডিজেল ট্রাক’* অবস্থা বেগতিক হলেও এক পূর্ণ চার্জে চলবে ৮০০ কিলোমিটার* দুটি সংস্করণে ভিত্তি মূল্য শুরু হচ্ছে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার থেকে* প্রতি মাইলে ২ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে* উৎপাদন শুরু হবে ২০১৯ সাল থেকেসূত্র: টেসলা | 355,998 |
ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী | life-style | জীবনযাপন | ০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৫৭ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৫৮ | আমার ডাক্তার,জীবনধারা | 0 | শিশুর দাঁতের ক্ষয়রোগ | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/114636 | শিশুর শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক প্রশান্তির জন্য তার মুখগহ্বরের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। জন্মের পর থেকে শিশুর এই যত্ন শুরু করা চাই। আর শিশুর বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের যত্ন পুরোদমে নিতে হবে।শিশুর ডেন্টাল কেরিজ বা ক্ষয়রোগে দাঁতের অবস্থা, ব্যাকটেরিয়া জীবাণুর উপস্থিতি ও শর্করাযুক্ত খাবার গ্রহণ—এ তিনের ভূমিকা প্রধান। স্টেপটোককসাই মিউটেনম নামের মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দাঁতের এনামেল নষ্ট করে প্রধানত ক্ষয়রোগের সুযোগ সৃষ্টি করে। পরে তার সঙ্গে যোগ হয় অন্য জীবাণু।যখন মা-বাবা শিশুকে জুসভর্তি ফিডার বা বোতল মুখে পুরে দিয়ে ঘুমানোর কাজ সারেন—তা নিঃসন্দেহে দাঁত ক্ষয়ের পথ সুগম করে দেয়। দাঁতের ক্ষয়রোগ উৎপাদনে মুখের ভেতর বেশিক্ষণ ধরে পুরে রাখা শর্করাযুক্ত খাবার অনেকাংশে দায়ী। এ ক্ষেত্রে চুইংগাম বিভিন্ন কোমল পানীয়র শর্করার তুলনায় বেশি ক্ষতিকর।সাধারণভাবে মোলার দাঁতের (ভেতরের দাঁত) প্রান্ত থেকে ক্ষয় বা পোকায় খাওয়া শুরু হয়। এই পর্বে তা থামানোর ব্যবস্থা না করা হলে দাঁতের আরও গভীরে ঢোকে। পালপাইটিস হয়, মাড়িতে ও দাঁতের চারপাশে পুঁজ, প্রদাহ হয়। আরও ছড়িয়ে তা পাশের দাঁত নষ্ট করে, চোয়ালের অস্থিও ছুঁতে পারে বা মুখ ও মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে যায়।নষ্ট হওয়া দাঁত চিহ্নিত করতে হবে আগে। ব্যথা-বেদনার জন্য ওষুধ দিতে হবে। সংক্রমণ কতটুকু ছড়িয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে খাওয়ানোর কিংবা ইনজেকশনের সাহায্যে অ্যান্টিবায়োটিকস দেওয়া যেতে পারে।প্রতিরোধটাই আসল। শিশুর প্রতি রাতে ও সকালে দুবার ব্রাশ করা, নিয়মিত মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য-পরিচর্যা মানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও জরুরি শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাসে বোতল ফিডার ব্যবহার না করা। শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। | 40,743 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৭ মার্চ ২০১৬, ১০:০০ | ২৭ মার্চ ২০১৬, ১১:২২ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দল | http://www.prothom-alo.com/sports/article/811372 | টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কাল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে শেষ ম্যাচের পর দেরি করল না বাংলাদেশ দল। আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছেন মাশরাফিরা। এর পর সেখান থেকে খেলোয়াড়েরা যে যার মতো চলে গেলেও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। | 214,465 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১২ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৯ | -1 | null | বাংলাদেশের অর্জন ধরে ফেলছে আফগানিস্তান! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1555908 | এবার আয়ারল্যান্ডে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এল আফগানিস্তান, যা বিদেশের মাটিতে গত দুই বছরে আফগানদের চতুর্থ সিরিজ জয়! আফগান ক্রিকেট ধীরে ধীরে আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা নিয়ে বেড়ে উঠছেভাগ্যিস, এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ জিতে এসেছে। না হলে তো বাংলাদেশ = আফগানিস্তান হয়ে যেত! পরশু আয়ারল্যান্ডের মাটিতে আরও একটি ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল আফগানরা। যেটি বিদেশের মাটিতে তাদের চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়। বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে সিরিজ জিতেছে ৫টি।২০০৬ সালে কেনিয়াকে তাদের মাটিতে ৩-০–তে হারায় বাংলাদেশ। সেটি ছিল বিদেশে প্রথম সিরিজ জয়। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে জিম্বাবুয়েকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্বল সেই দলের বিপক্ষে ৩-০। ওই বছরেই জিম্বাবুয়েতে সিরিজ জয় ৪-১-এ। দীর্ঘ ৯ বছর বিরতিতে আবার সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। দুবার করে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আর অন্যবার কেনিয়ার মাটিতে এসেছে বাংলাদেশের এই ৫ সিরিজ জয়। তিনটি দল ছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ তাদের ডেরায় গিয়ে ট্রফি জিতে নিয়ে আসতে পারেনি।বিদেশে বাংলাদেশের সিরিজ জয়স্বাগতিকব্যবধানসালকেনিয়া৩-০২০০৬জিম্বাবুয়ে৩-১২০০৬-০৭ওয়েস্ট ইন্ডিজ৩-০২০০৯জিম্বাবুয়ে৪-১২০০৯ওয়েস্ট ইন্ডিজ২-১২০১৮আফগানদের জয়গুলোও অপেক্ষাকৃত সমশক্তির দলগুলোর বিপক্ষেই। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ টানা দুই মৌসুমে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে তারা স্বাগতিকদের ৩-২ ব্যবধানে দুবার হারিয়ে এসেছে। কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে টেস্ট খেলুড়ে নয় এমন দলের টানা দুবার প্রতিপক্ষের হোম ভেন্যুতে দুবার হারানোর প্রথম কীর্তি ছিল সেটি। এর মাঝে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে তারা সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। এবার আয়ারল্যান্ডে গিয়ে জিতে এল ২-১-এ। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এসেছে এই চার জয়। যা আফগানদের ক্রিকেটের মানচিত্রে দ্রুত উত্থানের সাক্ষীও।বিদেশে আফগানিস্তানের সিরিজ জয়স্বাগতিকব্যবধানসালজিম্বাবুয়ে৩-২২০১৫-১৬স্কটল্যান্ড২-১২০১৬জিম্বাবুয়ে৩-২২০১৬-১৭আয়ারল্যান্ড২-১২০১৮ | 375,457 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০২ মার্চ ২০১৯, ১৪:৩৮ | ০২ মার্চ ২০১৯, ১৪:৪০ | ফুটবল,রিয়াল মাদ্রিদ,বার্সেলোনা,সার্জিও রামোস | null | রামোস অনুশোচনায় পুড়বেন, হুংকার বার্সার ‘ভবিষ্যৎ’ তারকার | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1581528 | ইচ্ছা করে হলুদ কার্ড দেখায় সার্জিও রামোসকে অনুশোচনা করতে হবে, এমন হুংকারই ছেড়েছেন আয়াক্সের মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংমৌসুম শেষেই আয়াক্স ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেবেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। ২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার এরই মধ্যে ইউরোপের আলোচিত উঠতি তারকাদের একজন। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে আয়াক্সের হয়ে সময়টা ভালো কাটছে না ডি ইয়ংয়ের। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে শেষ ষোলো প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরেছে তাঁর দল। ওই ম্যাচে সার্জিও রামোস ইচ্ছে করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন শেষ আটে খেলতে কার্ড নিয়ে দুর্ভাবনার পথ পরিষ্কার করতে। ব্যাপারটায় বেশ আঁতে লেগেছে ডি ইয়ংয়ের। তাঁর প্রতিজ্ঞা, রামোসকে এ জন্য অনুশোচনা করতে হবে।বিষয়টি খোলাসা করে বলা যাক। প্রথম লেগে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল। রামোস এ সময় হলুদ কার্ড দেখেন। তিনি যে ইচ্ছা করে কার্ড দেখেছিলেন ম্যাচ শেষেই তা স্বীকার করেছিলেন, ‘ফল দেখে যদি বলি আমি ইচ্ছা করে দেখিনি (হলুদ কার্ড) তাহলে মিথ্যা বলা হবে।’ রিয়াল অধিনায়ক ভেবেছিলেন,প্রথম লেগে কার্ড দেখায় ফিরতি লেগ খেলতে পারবেন না। কিন্তু প্রথম লেগেই এগিয়ে থাকায় ফিরতি লেগ জিতে রিয়ালের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাই ফিরতি লেগে তিনি বসে থাকলেও কোয়ার্টার ফাইনালে কার্ড নিয়ে কোনো ভাবনা ছাড়াই খেলতে পারবেন। কিন্তু বেরসিক উয়েফা ইচ্ছা করে কার্ড দেখায় রামোসকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে।এখন তাই হিসেবটা এ রকম—রিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে যদি ওঠে, সেখানে প্রথম লেগে রামোস খেলতে পারবেন না। কিন্তু শেষ আট এখনো দূরের পথ। শেষ ষোলোর ফিরতি লেগই যে শেষ হয়নি। তার আগেই রামোসের এই ‘অতিবুদ্ধি’ দেখানোয় ডি ইয়ং কিছুটা বিরক্ত। রামোসের কার্ড দেখার পরিকল্পনা তো এক অর্থে আয়াক্সকে ছোট করে দেখাও। ভাবখানা এমন যে, ফিরতি লেগে ডাচ ক্লাবটি কোনো বাধাই দিতে পারবে না! রামোস তো এই ভাবনা থেকেই শেষ ষোলোর প্রথম লেগে দাঁড়িয়ে শেষ আট দেখতে পেয়েছেন।ডাচ সংবাদমাধ্যম ‘এডি’-র সঙ্গে আলাপচারিতায় ডি ইয়ং বলেছেন, রিয়াল অধিনায়কের কার্ড দেখার সিদ্ধান্তটি মোটেও বুদ্ধিদীপ্ত ছিল না। রামোস যে ভুল করেছেন ফিরতি লেগে সেটি প্রমাণ হয়ে যেতে পারে। ডি ইয়ং বলেন, ‘আয়াক্স কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে রামোসকে এ জন্য (ইচ্ছা করে কার্ড দেখা) অনুশোচনা করতে হবে।’ বোঝাই যাচ্ছে, ফিরতি লেগে আয়াক্সের বিপক্ষে রিয়ালকে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। | 392,296 |
মুশফেকা ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৩৮ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০৪:৪১ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ৭০ পেরিয়েছে ‘রাজ্জাকস’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1026453 | ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। স্কুলপড়ুয়া শফিকুল ইসলামকে জুতা কিনে দিতে বাবা নিয়ে গেলেন ‘আধুনিক’ বিপণিবিতান ‘রাজ্জাকস’-এ। ঢাকার সেই সময়কার শ্রীহীন বিপণিকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে এই আলো ঝলমলে দোকানটির যেন তুলনাই চলে না। ষাট বছর বয়সী মো. শফিকুল ইসলামের এখনো মনে পড়ে ছোটবেলার সেই জুতা কেনার স্মৃতি। বললেন, ‘ওই সময় ঢাকার প্রসিদ্ধ দোকান ছিল রাজ্জাকস। নিজেদের কারখানায় হাতে তৈরি জুতা আর বিদেশি শার্টের জন্য ওদের খুব নাম ছিল।’ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে একসময় শৌখিন পোশাক-জুতার দোকান বলতেই ছিল গুলিস্তানের ‘গ্যানিস’ আর ‘রাজ্জাকস’। জিপিওর উল্টোদিকের ‘গ্যানিস’ অনেক আগেই উঠে গেছে। তবে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে টিকে আছে ‘রাজ্জাকস’। শুরুতে দোকানঘরটি ছিল একতলা। এখন ২৫ নম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় দোকানটির অবস্থান।রাজ্জাকস-এর বর্তমান কর্মচারী মো. আশরাফ আলী বলেন, দোকানটির প্রথম মালিক ছিলেন অবাঙালি। তাঁর নামেই দোকানের নাম। স্বাধীনতার পর ব্যবসার হাত বদল হয় বেশ কয়েকবার, তবে নাম বদল হয়নি। ১৯৮২ সাল থেকে নুরুল ইসলাম এই দোকানের স্বত্বাধিকারী। তিনিও পুরোনো নামটি ব্যবহার করছেন। বর্তমান শপ ইনচার্জ শরীফ হোসেন বলেন, রাজ্জাকস নামটিই ক্রেতাদের মনে গেঁথে গেছে বলেই হয়তো এর নাম পরিবর্তন করা হয়নি। প্রায় ৬০০ বর্গফুটের দোকানটিতে শুরু থেকেই পুরুষদের রেডিমেড পোশাক, শার্ট-প্যান্ট-স্যুটপিস আর নারী-পুরুষ-শিশুদের জুতা বিক্রি হয়ে আসছে। বিক্রয়কর্মী আশরাফ বলেন, আগে বিদেশি পণ্যই বেশি বিক্রি হতো। তবে এখন দেশি পণ্যের সংগ্রহ বেশি। জুতাও এখন আর রাজ্জাকস-এর নিজস্ব কারখানায় তৈরি হয় না। বাইরে থেকে সংগ্রহ করা হয়। একদামের দোকানটিতে পুরুষের ফুলশার্টের দাম ১৬০০ থেকে ২৮০০ টাকা, আর বড়দের জুতা পাওয়া যায় ৫০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। দোকানের কর্মীরা বললেন, বেশ ভালোই চলছে বেচাকেনা।এমন অনেক ক্রেতা আছেন, যাঁরা পারিবারিকভাবে জড়িয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে। বিক্রয়কর্মী আশরাফ বলেন, আগে বাবা ছিলেন ক্রেতা, এখন তাঁর ছেলেরাও আসেন। এত বছর ধরে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় থাকার রহস্য জানতে চাইলে আশরাফ বললেন, ‘কাস্টমাররা জানেন, এখানে এলে তাঁরা সবচেয়ে ভালো জিনিসটাই পাবেন।’ | 267,846 |
প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৫৫ | ০৩ আগস্ট ২০১৮, ১২:৩২ | আইন ও বিচার,বাংলাদেশ,টাঙ্গাইল,জাতীয় পার্টি | 0 | হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে জাতীয় পার্টির নেতার বিরুদ্ধে মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1544956 | টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। টাকা ছিনতাই, হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে এ মামলা করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম চাকলাদার।আজ বুধবার আবদুস সালাম চাকলাদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সালাম চাকলাদার টাঙ্গাইল জেলা বারের সাবেক সভাপতি এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মনিরা সুলতানা মামলাটি গ্রহণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তালিকাভুক্ত (রেকর্ড) করার জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শামসুদ্দোহা, মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. মোবিন এবং মো. রাজু ও মো. সানি নামক আরও দুজন গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে টাঙ্গাইল গোরস্থান জামে মসজিদের কাছে আবদুস সালামকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা জাতীয় পার্টির সম্মেলন উপলক্ষে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একই ব্যক্তিরা গত রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় রোডে তাঁর (সালাম চাকলাদার) রিকশার গতিরোধ করে তাঁকে জোর করে রিকশা থেকে নামান। এ সময় পিস্তল ও চাকু বের করে তাঁরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং চাঁদা না দিলে হত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। সৈয়দ শামসুদ্দোহা তাঁকে ঘুষি মারেন এবং পকেটে থাকা মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেন।মামলায় আবদুস সালাম আরও অভিযোগ করেন, তিনি একটি সমিতির সভাপতি হিসেবে গ্রাহকদের পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের জন্য আদালত রায় দিয়েছেন। কিন্তু জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক কিছু ভুয়া জাল দলিল করে ওই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছে।এ বিষয়ে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলা দায়েরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে তিনি তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। | 372,275 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ২৭ এপ্রিল ২০১৪, ২২:৪৭ | ২৭ এপ্রিল ২০১৪, ২২:৫১ | ভারত | null | মমতা ভীষণ লোভী: মোদি | http://www.prothom-alo.com/international/article/203140 | ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ‘ভীষণ লোভী নেত্রী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মমতা ভীষণ লোভী এক নেত্রী। তিনি বামদের পথে হাঁটছেন।’আজ রোববার রাতে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন মোদি। জনসাধারণের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূল চক্রের বাইরে যেতে হবে বাংলাকে। আমার সঙ্গে থাকুন। আমি আপনাদের স্বরাজ দেব।’ মোদি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় গেলে পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর সারদা কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্ত করা হবে। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না।শ্রীরামপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী সংগীতশিল্পী বাপ্পী লাহিড়ি। মোদি বাপ্পী লাহিড়ির সমর্থনে আজ রাত পৌনে আটটার দিকে শ্রীরামপুরে যান। শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। মোদি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে রাজনীতির পণ্ডিতদের হিসাব ভুল প্রমাণিত হবে। এই নির্বাচন কোনো অঙ্ক নয়। এই নির্বাচন মানুষের মনের রসায়ন। মানুষই ঠিক করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ আমার কছে এক তীর্থভূমি’। এ সময় মোদি বলেন, ‘কেন মমতার আঁঁকা একটি ছবি এক কোটি ৮০ লাখ রুপিতে কেনা হলো?’বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলেন, গরিবদের সারদার টাকা ফিরিয়ে দিতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে বলেন, ‘কোথায় গেল আপনার মমতা? কোথায় গেল সারদার টাকা? মা সারদাকে কিভাবে চিটফান্ড বানালেন? অনেক আশা নিয়ে এই রাজ্যের মানুষ আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, আপনি তাঁদের স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছেন। বিজেপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর সারদা কান্ডের সঠিক তদন্ত হবে। দোষী কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।’মোদি বলেন, পুলিশকে দিয়ে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে জনপ্রিয় হওয়া যায় না। রাজ্যবাসী এবার তার জবাব দেবে। তিনি বলেন, এত বছরে বামরা যা ক্ষতি করেছে, মমতা কয়েক বছরে তার থেকে বেশি ক্ষতি করেছে।জনসভায় বাপ্পী লাহিড়ি শ্রীরামপুরে পদ্ম ফুল ফোটানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা মোদিজিকে জেতান। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি এবং থাকব।’ | 68,828 |
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মার্চ ২০১৬, ২১:১৩ | ২১ মার্চ ২০১৬, ২১:৪৭ | জুড়ী,মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,অপরাধ | 0 | অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, আটক ৪ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/805894 | মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় আজ সোমবার অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।নিহত গৃহবধূর নাম শরীফা বেগম (২৩)। তিনি বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মহদিকোনা গ্রামের ছাদিকুর রহমানের স্ত্রী। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট মাসে বড়লেখা পৌরসভার গাজীটেকা-নাজিরেরচক গ্রামের শরীফার সঙ্গে ছাদিকুর রহমানের বিয়ে হয়। শরীফা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুঠোফোনে শরীফার স্বজনদের জানায়, পেটব্যথায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের কাছে খবর পেয়ে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শরীফার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শরীফার শাশুড়ি মিনারা বেগম, ননদ হুমায়রা আক্তার, হানিফা আক্তার ও হাজেরা আক্তারকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শরীফার বাবা আবদুল মালিক অভিযোগ করেন, নানা তুচ্ছ কারণে শরীফার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাঁর মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে শরীফাকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় হত্যা মামলা করবেন। বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত শরীফার পিঠ ও ঘাড়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য শরীফার লাশ মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বাড়িতে শরীফার স্বামী ছাদিকুরকে পাওয়া যায়নি। তিনি সাত-আট দিন আগে কাতারে চলে গেছেন বলে পরিবারের লোকজন জানান। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে শরীফার শাশুড়ি ও তিন ননদ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। | 212,651 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৫৮ | ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:০২ | বলিউড | null | ‘আমি সিঙ্গেল না’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1566717 | ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে দুই ভাইবোন অর্জুন কাপুর আর জাহ্নবীকে আমন্ত্রণ জানান করণ জোহর। এবারই প্রথম কোনো টিভি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে এসেছেন বলিউডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুরের এই দুই ছেলেমেয়ে। এর আগে ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে চারবার এসেছেন অর্জুন কাপুর। কিন্তু এবার তিনি করণ জোহরের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে দারুণ মজা পেয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে বলিউডের এই চিত্রনায়কের চোখেমুখে। আর পাশে বসে ভাইয়ের কথা শুনে অবাক হয়ে নিজের মুখ ঢাকেন জাহ্নবী।এবার পাঠকের মনে হতেই পারে, অর্জুন কী এমন বললেন, যা শুনে অবাক হয়ে জাহ্নবী নিজের মুখ ঢেকেছেন? জানা গেছে, এখানে অর্জুন কাপুরকে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন করণ জোহর, অর্জুন আপনি সিঙ্গেল? জবাবে অর্জুন বললেন, ‘না, আমি সিঙ্গেল না।’ তিনি বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অর্জুনের জবাব শুনে অবাক হন জাহ্নবী। তিনি কী বলবেন কিংবা তাঁর কী বলা উচিত, বুঝতে না পেরে হাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরেন।এরই মধ্যে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের বিয়ে হয়ে গেছে। কদিন বাদেই প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাসের বিয়ে। এই দুই জুটির পর বলিউডে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে অর্জুন কাপুর ও মালাইকা অরোরার প্রেম নিয়ে। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। তাঁদের ঘনিষ্ঠ ছবি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে এই সম্পর্ক নিয়ে এত দিন প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি তাঁরা দুজন। এবারই প্রথম কিছু বললেন অর্জুন কাপুর। আর এর আগে মালাইকা অরোরা বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত প্রশ্নের জবাব দিতে চাই না। আমি লজ্জা পাচ্ছি, সেটা নয়। আসলে আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না। আমি এখন জীবনটাকে উপভোগ করছি।’অনুষ্ঠানটির শুটিংয়ের পর ‘কফি উইথ করণ’-এর সেট থেকে জাহ্নবী কাপুর আর অর্জুন কাপুরের ছবি পোস্ট করেন করণ জোহর। আবার কফির কাপ নিয়েও ছবি তুলেছেন জাহ্নবী কাপুর আর অর্জুন কাপুর। | 383,470 |
বগুড়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৪ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৭ | বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ | 0 | বগুড়ায় ভালো ফল নিয়ে রেষারেষির এই ফল? | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1080213 | বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল রোববার এসএসসি পরীক্ষার পর বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষা চলাকালে দেখাদেখি করে লেখার দায়ে উত্তরপত্র কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় এ হামলা হয়েছে। এতে জিলা স্কুলের শিক্ষকদের ইন্ধন ছিল। এমনকি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন। জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, বিনা দোষে উত্তরপত্র কেড়ে নেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে জানাতে গিয়েছিল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। এ সময় ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।তবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালো ফল করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এ দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে রেষারেষি ও মনস্তাত্ত্বিক বিরোধ রয়েছে। গতকালের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। গতকাল হামলার ঘটনার আগে দুই পরীক্ষাকেন্দ্রেই পাল্টাপাল্টি শিক্ষার্থীদের খাতা গণহারে কেড়ে নেওয়া হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থীই ভালো পরীক্ষা না দিতে পেরে কেঁদেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বছরের মতো এবারও বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা পাশের বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। অন্যদিকে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে জিলা স্কুলে। গতকাল গণিত বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে বেলা একটার দিকে জিলা স্কুলের একদল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক লাঠিসোঁটা হাতে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। তাঁরা ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করেন। জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী এবং অন্য কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে।* সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের হামলা *দুই কেন্দ্রেই পাল্টাপাল্টি উত্তরপত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগজিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান যাতে ভালো ফল করতে না পারে, পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই সেই চেষ্টা শুরু করেন কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তাঁরা জিলা স্কুলের পরীক্ষার্থীদের বিনা কারণে মানসিক নির্যাতন, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, শিক্ষকদের কটাক্ষসহ নানা রূঢ় আচরণ করেন। গতকাল গণিত পরীক্ষার দিনেও একই আচরণ করেন ২১৬ নম্বর কক্ষে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শক। বিষয়টি জানার পর তিনি নিজে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে কেন্দ্র সচিবকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু চলে আসার পর শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র গণহারে কেড়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। এতে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভালো পরীক্ষা দিতে পারেনি। কেউ কেউ পাস নম্বরের উত্তরও লিখতে পারেনি। অন্য কক্ষেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আক্রোশমূলক আচরণ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হন। পরীক্ষা শেষে সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এসব বিষয়ে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে সেখানে যান। এ সময় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য শিক্ষকেরা তাঁদের পিছু পিছু গিয়েছিলেন। পরে শিক্ষকেরা তাঁদের শান্ত করে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনেন। কোনো হামলা-ভাঙচুর হয়নি।বেলা দেড়টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ১১৩ নম্বর কক্ষের কাচের জানালা, দুটি প্লাস্টিকের চেয়ার ও কাগজ রাখার বেশ কয়েকটি ঝুড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য বদিউর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে সবাই উত্তরপত্রের নিরাপত্তায় ব্যস্ত ছিলাম। সোয়া একটার দিকে একদল উত্তেজিত শিক্ষার্থী দৌড়ে এসে ভাঙচুর শুরু করে। দু-একজনের হাতে লাঠি ছিল।’জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী অভিযোগ করেন, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মেয়েরা জিলা স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজের সন্তানের মতো আচরণ করে আসছেন। অথচ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশিক্ষকসূলভ আচরণ করে আসছেন।তবে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জিলা স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ বা দূরত্ব নেই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো অশিক্ষকসূলভ আচরণ করার অভিযোগও ভিত্তিহীন।’ তিনি দাবি করেন, শুরু থেকেই জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় দেখাদেখি করে লিখছিল। গতকাল বিষয়টি কেন্দ্রের কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহলের নজরে পড়ে যায়। তিনি এ নিয়ে কক্ষ পরিদর্শকদের সতর্ক করে দেন। বাধ্য হয়ে কক্ষ পরিদর্শকেরা কিছুটা কড়াকড়ি করেন। এরপরও নিষেধ অমান্য করায় কয়েকজনের উত্তরপত্র নিয়ে ৫-১০ মিনিট করে রেখে দেওয়া হয়। এ কারণেই হামলা হয়েছে। এ সময় তাদের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষকও সঙ্গে ছিলেন।দুই পক্ষ এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বগুড়া জিলা স্কুল ও বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে এই রেষারেষি দীর্ঘদিনের। জেএসসি, পিইসি ও এসএসসি পরীক্ষা এলেই তা কমবেশি প্রকাশ পায়। কেউ কারও চেয়ে যাতে ফল ভালো না করতে পারে, সব সময়ই এ প্রতিযোগিতা থাকে। এ নিয়ে দুই পক্ষের শিক্ষকেরাই শিক্ষার্থীদের কারণে-অকারণে অপদস্থ, হেনস্তা ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন। শিক্ষকদের এই বিরোধের প্রভাব পড়ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর। গতকাল যেমন সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে জিলা স্কুলের পরীক্ষার্থীদের খাতা কেড়ে নেওয়া হয়, তেমনি জিলা স্কুল কেন্দ্রেও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র গণহারে কেড়ে নেওয়া হয়। এতে ভালো পরীক্ষা দিতে না পারায় দুই কেন্দ্র থেকেই বেরিয়ে অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।এদিকে হামলার ঘটনার পর জিলা স্কুলের পরীক্ষার্থীদের অনেকে ভালো পরীক্ষা না হওয়ার কারণে নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময় প্রধান শিক্ষক রমজান আলী মাইকে বক্তব্য দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তখন শিক্ষার্থীরা আবার লাঠিসোঁটা হাতে বিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।দুই বিদ্যালয়েরই সভাপতি বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধের বিষয়টি এত দিন নজরে আসেনি। গতকালের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামী পরীক্ষাগুলোতে আর এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃতি হবে না। | 293,121 |
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪১ | ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪১ | বরিশাল,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা, দুজন গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1064493 | বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত শুক্রবার রাতে মামলা হয়েছে। ওই রাতেই মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগধা ইউনিয়নের ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে এলাকার এক ব্যক্তির বিরোধ ছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় যান। এরপর দুপুরে গৃহবধূ পাশের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হন। একপর্যায়ে গৃহবধূর ওপর হামলা চালান ওই ব্যক্তির দুই ছেলে।গৃহবধূর অভিযোগ, হামলাকারীরা তাঁকে মারধরের একপর্যায়ে শ্লীলতাহানি ঘটান। এ সময় তাঁর ডাক-চিৎকারে লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। জানতে চাইলে ওই ব্যক্তির দুই ছেলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঝগড়ার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই মামলা করেছেন। ওই রাতেই পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ওই ব্যক্তির দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। | 285,833 |
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫২ | ৩০ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫৫ | রায়পুর,বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন | 0 | আ.লীগে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি এখনো | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/698479 | লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চারজন সম্ভাব্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য এক মাস ধরে দৌড়ঝাঁপ করেছেন। কিন্তু গতকাল রোববার পর্যন্ত কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত হননি। অন্যদিকে দলের সবুজসংকেত পেয়ে স্বস্তিতে আছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী।উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দ্বিধাবিভক্ত। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে দুজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। গত পৌর নির্বাচনেও দলের দুজন প্রভাবশালী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এবারও তাঁদের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হারুনর রশিদ এবং লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান এবার মেয়র পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন।রফিকুল হায়দার বলেন, প্রার্থী মনোনয়নে দল ভুল করলে ভরাডুবি হবে। ভোটের মাঠের অবস্থান বিচার করে মনোনয়ন না দিলে নেতা-কর্মীরা তা মেনে নেবেন না।ইসমাইল খোকন বলেন, ‘দলীয় সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। নির্বাচন করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছি।’উপজেলা বিএনপি সূত্র জানায়, গত দুটি পৌর নির্বাচনে বিএনপি থেকে এ বি এম জিলানীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত নির্বাচনে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভোট করেন। তখন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এ বি এম জিলানী মেয়র হন।জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া গতকাল বলেন, ‘বিএনপি থেকে মেয়র পদে এ বি এম জিলানীর নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন নিশ্চিত। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি এ বি এম জিলানী বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড যাঁকে মনোনয়ন দেয়, মেনে নেব। এখন দ্বন্দ্বের সময় নয়। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে।’নজরুল ইসলাম বলেন, গতবার নির্বাচন করেছি, এবারও করব। জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। | 179,143 |
বিশাল বাংলা ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:১৮ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:১৯ | বিশাল বাংলা | 0 | জেঁকে বসা শীতে কাবু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/110989 | চার দিন ধরে কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে, বইছে হিমেল হাওয়া। শীত জেঁকে বসেছে নীলফামারীতেও। গরিব মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে ঠান্ডার কারণে গত শুক্রবার কুড়িগ্রামের উলিপুরে ১০০ মুরগির বাচ্চা মারা গেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:কুড়িগ্রাম: গতকাল কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরম কাপড়ের অভাবে নিম্ন আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী ঘনশ্যামপুর গ্রামের আবুল হোসেন ও আখের আলী জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিকেলের পর মানুষ বাড়ির বাইরে বের হন না। ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, শীত ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪১ জন। এর মধ্যে ৬০ জন শিশু। এ ছাড়া আউটডোরে শীতজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ৮০০ জন মানুষ। এর অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ। সিভিল সার্জন লোকমান হাকিম জানান, চিকিৎসা বিভাগের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল করে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।নীলফামারী: গত শনিবার সন্ধ্যায় জলঢাকার শালনগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়ির ঘরের সামনে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নারী পুরুষ শিশু ও বৃদ্ধরা। এ সময় কথা হয় বৃদ্ধ অলন্ত বালার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জারত মুই মরি যাওছো, মেম্বার চেয়ারম্যান কাও মোখ দেখে না। সকাল থাকি এই আগুন কোনা নিয়া আছ।’ একই গ্রামের ধর্মনারায়ণ বলেন, ‘ঠান্ডাত দুদিন থাকি কাম কাজত যাবার পায়ছি না। এমনিতে হরতাল-অবরোধ তারপর ঠান্ডা শুরু হইছে, হামার যে কি হইবে কায় জানে।’ শীতজনিত রোগ বেড়েছে। গতকাল দুপুর দুইটা পর্যন্ত শীতজনিত রোগে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ৫০ শিশু ভর্তি ছিল।সৈয়দপুর (নীলফামারী): শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ফলে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সৈয়দপুরে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। সৈয়দপুর শহরের ডাকঘরসংলগ্ন রেললাইনের ওপর বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকান। এসব দোকানে দাম হাঁকা হচ্ছে বেশি। ফলে গরিব ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে। সরকারিভাবে সৈয়দপুরে ৮১০টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।উলিপুর (কুড়িগ্রাম): উলিপুর পৌরসভার মালতিবাড়ী গ্রামের খামারি হাবিবুর রহমান জানান, এক সপ্তাহ আগে তিনি খামারে ব্রয়লার মুরগির এক হাজার বাচ্চা তুলেছেন। ঠান্ডার কারণে গত শুক্রবার তাঁর ১০০ মুরগির বাচ্চা মারা গেছে। এ ছাড়া কাশিয়াগাড়ী গ্রামের খামারি আইয়ুব আলীর ৩০টি, জিয়াউর রহমানের ৪০টি ও রফিকুল ইসলামের ৩০টি মুরগি মারা গেছে। খামারিরা জানান, খামারে দিন-রাত বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়েও বাচ্চা রক্ষা করা যাচ্ছে না। | 39,794 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৬ অক্টোবর ২০১৪, ২১:০৩ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:০৩ | ভারত | null | পশ্চিমবঙ্গে বোমা তৈরির সময় দুই বাংলাদেশি নিহত? | http://www.prothom-alo.com/international/article/338311 | পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে একটি বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত দুজন বাংলাদেশি বলে দাবি করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। আজ সোমবার পত্রিকাটির অনলাইন খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য এই বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। ঢাকাকে এ কথা জানিয়ে দিল্লি সতর্কও করেছিল। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন।নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে দাবি করা হয়, নিহত দুজন এবং তাঁদের সহযোগীরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি অংশের সদস্য।হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে দাবি করা হয়, নিহত দুজন হলেন শামীম শাকিল আহমেদ ও সোবহান মণ্ডল। শামীমের স্ত্রী রুমি বিবির দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে নিরাপত্তা সূত্র জানায়, গত তিন মাসে সহযোগীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাঁরা বোমার চারটি চালান পাঠিয়েছেন। রুমি বিবি ওই সহযোগীদের মধ্যে কাউসার ও রসিকের নাম উল্লেখ করেছেন। বোমাগুলো ভারতে হামলা চালানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছিল না বলে তিনি জানিয়েছেন।এদিকে কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকাল পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নিহত শাকিলের বাড়ি বাংলাদেশে। তিনি বিয়ে করে এবং শ্বশুরকে ‘বাবা’ সাজিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা থেকে ভারতীয় ভোটার পরিচয়পত্র জোগাড় করেন। আর নিহত সোবহানের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের উত্তরপাড়ায়।হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে দাবি করা হয়, ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ তথ্য ঢাকায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালককে জানিয়েছিলেন। ওই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রুমি, আবদুল হাকিম ও তাঁর স্ত্রী আমিনা বিবি আহত হন। প্রথমে তাঁদের আটক করা হলেও গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র জানায়, হাকিমকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। তিনি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান। | 98,986 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৪ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:৩৩ | ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ১২:০৪ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,বার্সেলোনা,মেসি | 0 | মেসি–সুয়ারেজে বার্সার বড় জয় | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1059831 | নতুন চুক্তি নিয়ে নিত্য নতুন কথা হচ্ছে। তাঁকে নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে বরখাস্ত হয়েছেন বার্সেলোনার এক পরিচালক। কিন্তু লিওনেল মেসিকে স্পর্শ করতে পারে না এসব। আজ স্প্যানিশ লিগে দলের ৫-০ ব্যবধানের জয়ে একটি গোলই করেছেন। তবে পুরো ম্যাচ জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছেন লাস পালমাসের রক্ষণে। খেলেছেন ছন্দময় ফুটবল। গত বুধবার অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে কোপা ডেল রের ম্যাচে পুরো শক্তির দল নিয়ে মাঠে নেমেছিল বার্সা। আজ তাই বিশ্রাম নীতি বেছে নিয়েছেন কোচ লুইস এনরিকে। এমএসএন ত্রয়ীর একজন নেইমারকে দিয়েছিলেন বিশ্রাম। বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন প্লেমেকার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকেও। তবে মেসি আর লুসই সুয়ারেজের জুটিটি জমে উঠেছিল বেশ। মাঝমাঠে আন্দ্রে গোমেজ-রাফিনহারা খেলেছেন গোছানো ফুটবল।নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে এগিয়ে যেতে বেশি সময় নেয়নি বার্সা। গোমেজের একটু নিচু ক্রস পেয়ে চকিতে শট নেন সুয়ারেজ। যেটি মুহূর্তের মধ্যে জালে জড়ায়। ১-০ স্কোরলাইন নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে স্বাগতিকরা। ৪২ মিনিটে অবশ্য ব্যবধানটা বাড়তে পারত। ব্যবধান বাড়তে পারত ৪৪ মিনিটেও। দুবার মেসিকে গোলবঞ্চিত করেন পালমাসের গোলরক্ষক। প্রথমবার মেসির ফ্রি-কিক প্রায় জ্বালে ঢুকে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল টানা চার ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে গোল পাচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কর্নারের বিনিময়ে সেটি রক্ষা করেন গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর গোলরক্ষকে একাই পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তাঁর নিচু করে নেওয়া শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন। মেসি অবশেষে স্কোরশিটে নাম লেখান ৫২তম মিনিটে। চলতি মৌসুমে লিগে এটি তাঁর চতুর্দশ গোল। গোলটি তখন বার্সার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যে বার্সার রক্ষণের পরীক্ষা নিতে শুরু করেছিল পালমাস! তবে মেসির গোলের পর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি তারা। এরপর দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে মেসিকে ছুঁয়ে ফেলেন সুয়ারেজ। ১৪ গোল নিয়ে মেসির সঙ্গে যৌথভাবে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। মেসি-সুয়ারেজ ছাড়া গোল পেয়েছেন আর্দা তুরান ও অ্যালেক্স ভিদাল। দারুণ এই জয়ের পর ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সা। তাদের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৪০। সূত্র: সনি সিক্স। | 283,055 |
মোস্তাফিজুর রহমান লিটন | education | শিক্ষা | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৪ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৪ | পড়াশোনা | 0 | ভাবাধিকরণে সর্বদা সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয় | http://www.prothom-alo.com/education/article/92035 | বহুনির্বাচনি প্রশ্ন অংশ-১৭প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিও। আজ বাংলা ২য় পত্রের কিছু বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।কারক ও বিভক্তি২১. যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কোন কারক বলে?ক. কর্ম কারক খ. করণ কারকগ. সম্প্রদান কারক ঘ. কর্তৃ কারকসঠিক উত্তর: ক. কর্ম কারক২২. কোনটিতে কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি?ক. ডাক্তার ডাকো খ. লোকমুখে শোনাগ. বিপদে যেন না করি ভয় ঘ. জলকে চলসঠিক উত্তর: ক. ডাক্তার ডাকো২৩. ভাবাধিকরণে সর্বদা কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?ক. পঞ্চমী খ. ষষ্ঠী গ. সপ্তমী ঘ. সবগুলোসঠিক উত্তর: গ. সপ্তমী২৪. বাক্যের প্রতিটি শব্দের সঙ্গে অন্বয় সাধনের জন্য যেসব বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের কী বলে?ক. সমাস খ. কারক গ. বিভক্তি ঘ. সম্বন্ধ পদসঠিক উত্তর: গ. বিভক্তি২৫. সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদ কারক নহে, কারণ কী?ক. কর্তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে নাখ. ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে নাগ. বিভক্তি যুক্ত হয় নাঘ. কর্তা নিজে ক্রিয়া সমাধা করেসঠিক উত্তর: খ. ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে নাঅনুসর্গ১. অনুসর্গ কী?ক. বিভক্তি খ. উপসর্গ গ. ক্রিয়া বিভক্তি ঘ. অব্যয়সঠিক উত্তর: ঘ. অব্যয়২. অনুসর্গ কী কাজ করে?ক. বিভক্তির কাজ করে খ. শব্দের অর্থ স্পষ্ট করেগ. শব্দের অর্থের পরিবর্তন করেঘ. বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করেউত্তর: ঘ. বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে৩. ‘বিনে স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা’—এই বাক্যে ‘বিনে’ অনুসর্গটি কোন অর্থ প্রকাশ করেছে?ক. সঙ্গে খ. প্রয়োজনেগ. নিমিত্তে ঘ. ব্যতিরেকে/অভাবেসঠিক উত্তর: ঘ. ব্যতিরেকে/অভাবে৪. ‘দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে’—এখানে ‘বিনা’ কী?ক. উপসর্গ খ. অনুসর্গ গ. বিভক্তি ঘ. কারকসঠিক উত্তর: খ. অনুসর্গ। শিক্ষক. বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | 33,860 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জুলাই ২০১৪, ০১:৪৮ | ১৬ জুলাই ২০১৪, ০১:৪৯ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | ছুরিকাঘাতে তরুণকে হত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/268999 | সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. আবদুল্লাহ ওরফে কচি (২৫) নামের এক তরুণ খুন হয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মদিনা মার্কেটসংলগ্ন ধোপাবাড়ি সেতুর পাশে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।আবদুল্লাহ মদিনা মার্কেট এলাকার একটি ফার্মেসিতে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মদিনা মার্কেট এলাকায় ইজিবাইক (টমটম) স্ট্যান্ড করা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দুটো পক্ষ তৈরি হয়। এ দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের কয়েকজন আবদুল্লাহকে ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে যান। অবচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আবদুল্লাহ মারা যান।মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোসুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতাল থেকে আবদুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।ওসি জানান, ইজিবাইক স্ট্যান্ডের কর্তৃত্ব নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে তিনিও জেনেছেন। এ ঘটনায় আবদুল্লাহর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে।আবদুল্লাহর ভাই আসাদুল হক জানান, ওই দিন বাসায় ইফতার করার পর তাঁর সঙ্গী কয়েকজন ডেকে নিয়ে যায়।তিনি বলেন, ছুরিকাহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসাপাতালে গিয়ে তিনি তাঁর ভাইয়ের লাশ দেখেন। যারা তাঁর ভাইকে বাসা থেকে ডেকে নিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডে তাঁরা সংশ্লিষ্ট থাকতে পারেন বলে আসাদুল মনে করেন। | 78,088 |
রণজিত্ কুমার শীল | education | শিক্ষা | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০৬ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০৬ | পড়াশোনা | 0 | গণিত | http://www.prothom-alo.com/education/article/329143 | সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নপ্রিয় শিক্ষার্থী, প্রশ্নকাঠামো অনুসারে গণিতের ২ নং প্রশ্ন থাকবে সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন। ১০টি প্রশ্নের মধ্যে সব কটির উত্তর দিতে হবে। পাঠ্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হলো।প্রশ্ন: ৩ কেজি চালের দাম ৬০ টাকা হলে ১ কেজির দাম কত?উত্তর: ২০ টাকা।প্রশ্ন: ৬, ৮, ৯, ৫, ০, ৪ অঙ্কগুলোর প্রত্যেকটি একবার ব্যবহার করে গঠিত ছয় অঙ্কের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যার বিয়োগ ফল কত?উত্তর: এখানে ৯>৮>৬>৫>৪>০ এবং ০<৪<৫<৬<৮<৯৬, ৮, ৯, ৫, ০, ৪ অঙ্কগুলোর প্রত্যেকটি একবার ব্যবহার করে গঠিত ছয় অঙ্কের:বৃহত্তম সংখ্যা = ৯৮৬৫৪০ক্ষুদ্রতম সংখ্যা = ৪০৫৬৮৯ বিয়োগ ফল = ৫৮০৮৫১প্রশ্ন: গড় × রাশিগুলোর সংখ্যা = কী?উত্তর: গড় × রাশিগুলোর সংখ্যা = রাশিগুলোর যোগফল।প্রশ্ন: ২২, ৪৬, ৬০, ৪২ সংখ্যাগুলোর গড় কত?উত্তর: ৪২.৫।প্রশ্ন: গড় নির্ণয় করো: ২৩, ৩৭, ৪৭, ৬১উত্তর: ৪২.৫।প্রশ্ন: গুণনীয়কের অপর নাম কী?উত্তর: উত্পাদক।প্রশ্ন: গ.সা.গুর পূর্ণ বাক্যটি লেখো।উত্তর: গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক।প্রশ্ন: ১৮-এর সব গুণনীয়ক লেখো।উত্তর: ১৮-এর সব গুণনীয়ক: ১, ২, ৩, ৬, ৯, ১৮প্রশ্ন: একাধিক সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে কোনটি তাদের গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক?উত্তর: বড়টি।প্রশ্ন: একাধিক সংখ্যার গ.সা.গু বলতে কী বোঝ?উত্তর: একাধিক সংখ্যার গ.সা.গু=এদের সাধারণ মৌলিক গুণনীয়কগুলোর গুণফল।প্রশ্ন: একাধিক সংখ্যার কোনো সাধারণ মৌলিক গুণনীয়ক না থাকলে তাদের গ. সা. গু কত হয়?উত্তর: ১।প্রশ্ন: ল. সা. গু-এর পূর্ণ বাক্যটি লেখো।উত্তর: লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক।প্রশ্ন: ২৪ ও ৩৬ এর ল.সা.গু. কত?উত্তর: ৭২।সহকারী শিক্ষক, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকাবাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | 96,384 |
বিশাল বাংলা ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৪২ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০৪ | বিশাল বাংলা | 0 | উত্তরাঞ্চলে আবার পানি বৃদ্ধি, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/327418 | কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুরের গঙ্গচড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁর ধামইরহাট ও বগুড়ার শেরপুরের নিম্নাঞ্চলের ফসলের খেত ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।এর আগে গত মাসের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়া বন্যায় উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:নীলফামারী: পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নীলফামারী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, তিন দিনের বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, বুড়িতিস্তা, দেওনাই, চারালকাটা, ধাইজান, বুড়িখোড়া ও শালকি নদীর পানি বেড়েছে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ গতকাল সোমবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ১১৯ মিলিমিটার। গতকাল সোমবার সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পাউবো ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বেড়েছে ৫০ সেন্টিমিটার।কুড়িগ্রাম: চার দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে জেলার ছোট-বড় ১৬টি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বাড়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকাগুলো হচ্ছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর এবং চিলমারী ও নাগেশ্বরী উপজেলা। যাত্রাপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোতে চর যাত্রাপুর থেকে পাঁচগাছি ইউনিয়নের ঘন শ্যামপুর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এবং ঘোগাদহ ঘাটের এক কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে জোড়গাছ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এবং নাগেশ্বরীর নুনখাওয়ায় ব্যাপক ভাঙন চলছে।পাউবো জানায়, গত রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর ফেরিঘাট পয়েন্টে ৮২ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমার নদীতে ৭২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। ফলে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।রংপুর: গতকালসহ দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে পানি নেমে আসায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। জেলার গঙ্গচড়া উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের গান্নারপাড়ে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধের ভেতরে প্রায় ৩০ বাড়িতে পানি উঠেছে। সালমা বেগম নামের এক গৃহিণীকে পানিতে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে রান্না করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘বাহে, এইবার নিয়া তিনবার পানিত আটকা পড়নো।’ কোলকোন্দ ইউনিয়নের সাউথপাড়া এলাকায় বাঁধ ঘেঁষে প্রায় ২০টি পরিবারের বাড়িঘরে হাঁটুপানি উঠেছে। এ ছাড়া কোলকোন্দ ইউনিয়নে প্রায় ৪০০ এবং লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে ১০০ পরিবার আবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলার মর্ণেয়া ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে আরও ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।আদমদীঘি (বগুড়া): গতকালসহ তিন দিনের টানা বর্ষণে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ঘুকসী নদী, চিরি নদী, ছোট যমুনা নদী, কলকলীখাল, টুটিকাটা খাল ও মড়লই খালের পানি বাড়ছে। ধামইরহাট সদর, আগ্রাদ্বিগুণ, আলমপুর, উমার, আড়ানগর, জাহানপুর, ইসবপুর ও খেলনা ইউনিয়নের আমনখেত ও বসতবাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব এলাকার শাকসবজি ও আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক মাছের ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে।শেরপুর (বগুড়া): উপজেলার গাড়িদহ, খামারকান্দি, মির্জাপুর ও খানপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির সবজি প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো ও পালংশাকের খেত রয়েছে। এসব খেতের মালিক কৃষকেরা বলেন, খেত প্রস্তুত করতে কমপক্ষে বিঘাপ্রতি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা করে ব্যয় হয়েছে।জয়পুরহাট: প্রবল বর্ষণে জেলার তুলসীগঙ্গা এবং ছোট যমুনায় পানি বাড়ছে। জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বহু পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিপাতে জেলার ৭৪২ হেক্টর জমির আমন ধান এবং ১০০ হেক্টরের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। | 95,799 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ২৩:১৯ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ২৩:২০ | রাজনীতি | null | সংলাপের ছবি ফেসবুকে গেল কী করে: মান্না | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1563782 | নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গণভবনে সংলাপ হয়েছে, সেখানে কোনো সাংবাদিক নেই। ফেসবুকে ছবি গেল কী করে? তিনি বলেন, ‘সরকারের মতলবই খারাপ। এটা একটা মতলবি সরকার।’জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার মাটির ডাক নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না এ মন্তব্য করেন।সংলাপের ছবি ছড়ানোর বিষয়ে মান্না বলেন, ঐক্যফ্রন্টকে দাওয়াত করা হয়েছিল নৈশভোজের। জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভোজসভার জন্য তো সেখানে যাওয়া হচ্ছে না, সেখানে সংলাপ করতে যাওয়া হচ্ছে, এটা কোনো উৎসব নয়। অতএব নৈশভোজ নয়। তারা (সরকার) মেনেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বলিনি যে, জল পানও করব না। পানি খাওয়াবে, চা খাওয়াবে, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়াবে, স্ন্যাক্স দেবে, কে মানা করেছে? কিন্তু তারা স্ন্যাক্সের সঙ্গে স্যুপের ছবি দিয়ে ছড়াবে, কী বোঝাতে চাইছে? এই নেতারা জীবনে খাননি, খেতে গিয়েছিলেন সেখানে?’মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সংলাপটা কি সংয়ের সঙ্গে আলাপ? প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, দিনের মধ্যে চারবার কথা হয়, তাঁর সঙ্গে সংলাপ কী? বিরোধী দলের নেতা, সংসদে দেখা হয়, সংসদের বাইরে কথা হয়। তাঁর সঙ্গে সংলাপ কী? সরকারের মন্ত্রী, তাঁর একটি দল আছে, তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে সংলাপ কী?মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্যফ্রন্টের চাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপ করতে হয়েছে। এই সংলাপকে যতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ছোট করা যায়, ফালতু বানিয়ে দেওয়া যায়—তার জন্য একটার পর একটা কাকে কাকে ডেকে কথা বলছেন। আর তাকে সংলাপ বলা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘আমরা এবার ঘরে ঢোকার লোক না। আমরা আন্দোলনই করব।’ এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবারও সংলাপে বসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৬ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ৯ নভেম্বর রাজশাহীতে জনসভা করবে বলেও জানান মান্না। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমান, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। | 381,345 |
ফরিদপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ মার্চ ২০১৫, ০১:৫৩ | ২৪ মার্চ ২০১৫, ০১:৫৩ | ফরিদপুর,বিশাল বাংলা | 0 | ট্রাকে আগুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/484966 | ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পাটখড়িভর্তি একটি ট্রাক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা এলাকা থেকে পাটখড়িভর্তি ট্রাকটি সাতৈর বাজারে পৌঁছলে বিদ্যুতের ঝুলন্ত তার ছিঁড়ে পাটখড়িতে আগুন লাগে। এতে ট্রাকটি পুড়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার হাসান আলী জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। | 125,587 |
-1 | sports | খেলা | ২৩ মে ২০১৫, ০২:১০ | ২৩ মে ২০১৫, ০২:১০ | খেলা,টেনিস | 0 | নাদালকে প্যারিসের সর্বোচ্চ সম্মান | http://www.prothom-alo.com/sports/article/535021 | তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা ও বসবাস—সবই স্পেনে। তবে প্যারিসের সঙ্গে বুঝি একটা আত্মার সম্পর্ক আছে রাফায়েল নাদালের। নইলে এখানে এলেই কীভাবে তিনি হয়ে ওঠেন অন্য এক নাদাল! রোলাঁ গাঁরোতে কীভাবে জেতেন গত ১০ বছরে ৯টি গ্র্যান্ড স্লাম! নাদাল ও প্যারিসের সেই সম্পর্কটা এবার আরও জোরালো হলো গ্রাঁ ভারমেইল পুরস্কারে। পরশু প্যারিসের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক এই পুরস্কার নাদালের হাতে তুলে দিয়েছেন মেয়র অ্যান হিদালগো।কাল থেকে শুরু আরও একটা ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে প্যারিস শহরবাসীর কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত নাদাল। কৃতজ্ঞচিত্তে বলেছেন, ‘টেনিস মানেই রোলাঁ গাঁরো, আর রোলাঁ গাঁরো মানেই প্যারিস। আমার ক্যারিয়ারে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। ১০ বছর আগে এই শহর থেকেই আমার জীবনটা বদলে গিয়েছিল।’ এএফপি। | 141,232 |
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১২ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১২ | বিশাল বাংলা | 0 | বড়লেখা শহর যানজটমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/782518 | মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর শহরের বাসিন্দাদের অসহনীয় যানজট থেকে মুক্ত রাখতে সড়কের ওপর বসানো অবৈধ দোকানপাট, বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ড ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে ওই অভিযান শুরু করেছে।গতকাল শনিবার সকাল থেকে শহরের হাজীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় পৌর মেয়র, পৌর কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বড়লেখা পৌরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার-চান্দগ্রাম সড়কের বড়লেখা পৌর এলাকায় সড়কের ওপর দুই পাশে মৌসুমি ফল, মৌসুমি সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দোকান বসান ব্যবসায়ীরা। সড়কের মধ্যেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। এতে শহরের মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় ২২ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা পৌরসভার উদ্যোগে বড়লেখা পৌরসভা, বড়লেখা থানা-পুলিশ, বড়লেখা সদর ইউনিয়ন, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সমিতি, পিকআপ ভ্যান মালিক সমিতি এবং ইজারাদার কর্তৃপক্ষের এক যৌথ সভা হয়। সভায় শহরকে যানজটমুক্ত করতে রাস্তার ওপর বসা দোকানপাট ও অবৈধ স্ট্যান্ড সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়। | 206,033 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ মে ২০১৭, ০১:২৬ | ২৮ মে ২০১৭, ০১:২৬ | -1 | 0 | ধর্মের অপব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে ভোটের স্বার্থে: ড. কামাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1195871 | বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ভোটের স্বার্থে এখন সস্তাভাবে ধর্মকে অপব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ধর্মকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সংবিধানে অসাম্প্রদায়িকতার কথা লেখা হয়েছিল। কিন্তু আজ কথায় কথায় ধর্মকে অপব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের স্মরণসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে ড. কামাল এসব কথা বলেন। মোজাফ্ফর আহমদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সভায় প্রায় সব বক্তাই মোজাফ্ফর আহমদের কর্মময় জীবন স্মরণ করে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁর মতো প্রতিবাদী ব্যক্তির খুব প্রয়োজন ছিল।সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, তিনি এ নিয়ে এখন কিছু বলতে চান না। আইনজীবীদের একটি সম্মেলন হবে। সেখানে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেওয়া হবে। স্মরণসভায় সভাপতির বক্তৃতায় লেখক-সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ হেফাজতের দাবির মুখে ভাস্কর্য সরানোর বিষয়ে বলেন, ‘এটা নষ্ট রাজনীতির দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।’অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের জামাতা গবেষক মির্জা হাসান, সুজনের নির্বাহী কমিটির সদস্য বদরে আলম খান, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার, সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক প্রমুখ। | 319,975 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৫ | ২৩ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৭ | আইন ও বিচার | 0 | ‘খ’ তালিকার বিষয়ে পরিপত্র প্রকাশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/80530 | অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (দ্বিতীয় সংশোধনী) আইন, ২০১৩ প্রণয়নের পর বাতিল হওয়া ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) ইব্রাহীম হোসেন খান স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে ‘খ’ তফসিল বাতিল করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।অর্পিত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকা বাতিল হয় গত ১০ অক্টোবর। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা না থাকায় ভুক্তভোগীরা তাঁদের সম্পত্তি অবমুক্ত করতে পারছিলেন না।ভূমি প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নির্দেশনার অভাবে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পাছিলেন না। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে এখন এ পরিপত্র জারির পর প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় কোনো জটিলতা থাকবে না বলে দাবি করেন ইব্রাহীম হোসেন খান। পরিপত্রটি আগামী রোববার ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান তিনি।পরিপত্রে সাত দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনায় আছে, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (দ্বিতীয় সংশোধনী) আইনের ২৮ ধারামতে বাতিল হওয়া ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির যেগুলোর হোল্ডিং বৈধভাবে খোলা হয়েছিল এবং ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়া হতো, সেসব সম্পত্তির ক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর আগের মতোই আদায় করতে হবে। বৈধ দলিল থাকার পরও যাদের নামে হোল্ডিং খোলা হয়নি, তাদের নামে হোল্ডিং খুলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বিনিময় দলিলের অন্তর্ভুক্ত ভূমির ক্ষেত্রে যদি পৃথক খতিয়ান না খোলা হয়ে থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে দলিলের সত্যতা যাচাই করে পৃথক হোল্ডিং খুলে ভূমি উন্নয়ন কর নিতে হবে। ‘খ’ তফসিলভুক্ত যেসব সম্পত্তি ইতিমধ্যে ১/১ খতিয়ানে সরকারের নামে রেকর্ড হয়েছে, তা অকার্যকর হয়ে যাবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে। তবে এমন সম্পত্তিতে যদি সরকারের স্বত্ব থাকে তবে তা রক্ষা করতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 30,107 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ মার্চ ২০১৭, ১৪:৩৪ | ০৯ মার্চ ২০১৭, ১৪:৩৬ | -1 | 0 | বিদেশে কর্মসংস্থান: পুরুষদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির শিকার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1102663 | বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসনের প্রচণ্ড অভাব বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংগঠনটির মতে, বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী পুরুষদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার। আর ভিসা বা চাহিদাপত্র কিনতে শুধু ২০১৬ সালেই ৫ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।‘শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসন: সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের প্রক্রিয়াটি জটিল। এখানে দালালদের প্রাধান্য। প্রতিবেশী যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশিদের বিদেশ যেতে বেশি খরচ হয়। বাংলাদেশ এবং গন্তব্য দেশ—দুই জায়গাতেই ভিসা কেনাবেচা হয় উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০১৬ সালে সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, কাতার, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে ভিসা কিনতে ৫ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। হুন্ডি বা অন্য কোনোভাবে এই টাকা সেখানে পাচার হয়েছে।এর আগে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গিয়ে টিআইবির দুই গবেষক মনজুর-ই-খোদা ও শাহজাদা এম আকরাম বলেন, বাংলাদেশিরা যেকোনো মূল্যে ভিসা ক্রয় করতে চায়। সরকারের লাইসেন্স পাওয়া জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিদেশগামীদের সরাসরি যোগাযোগ নেই বলে দালালেরাই তৃণমূল নিয়ন্ত্রণ করেছন। নারীদের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত টাকা লাগে না, কিন্তু তাঁদের অনেকের কাছ থেকেও দালালেরা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব থেকে নিয়োগদাতারা ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ভিসা কিনে আনলেও নানা হাত বদল হয়ে সাধারণ মানুষকে ৫ থেকে ১২ লাখ টাকায় যেতে হয়। একইভাবে বাহরাইন, ওমান, কাতার, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর যেতে আড়াই লাখ থেকে আট লাখ টাকা পর্যন্ত লাগে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে যাওয়ার ছাড়পত্র আনতে মন্ত্রণালয়ে গেলে সেখানে দলীয় ভিসার ক্ষেত্রে ১৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইিট) ছাড়পত্র নিতে গেলেও ন্যূনতম ১০০ থেকে ২০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ ছাড়া পুলিশের ছাড়পত্রের জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা নেয় থানা-পুলিশ। এর বাইরে মালয়েশিয়ার জন্য ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। অভিবাসন খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে আইনের সংস্কার, ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু, দালালদের জবাবদিহি, দলীয় ভিসা প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির ব্যবস্থা বাতিলসহ নয় দফা সুপারিশ করা হয়। | 300,846 |
আব্দুল কাইয়ুম | life-style | জীবনযাপন | ১৬ জুলাই ২০১৬, ০০:১১ | ১৬ জুলাই ২০১৬, ০০:১২ | জেনে নিন,ছুটির দিনে | 0 | লবণ কতটা খাব? | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/915331 | আমরা যারা ভোজনরসিক, তাদের অনেকেই খাওয়ার টেবিলে বসে ভাবি, আজ না হয় পাতে একটু লবণ নিয়েই দেখি না, কী আর হবে! পাতে লবণ নেওয়া ঠিক কি না, এটা অনেকেরই ভাবনার বিষয়। আসুন, দেখি পাতে লবণ আসলেই কতটা বিপদের।১. লবণ হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। এতে সোডিয়াম থাকে। যাঁদের রক্তচাপ বেশি, তাঁদের কম সোডিয়াম বা লবণ খেতে বলা হয়। কারণ সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায়। কিন্তু এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য যে খুব কম লবণ খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় এটা দেখা গেছে।২. ১ লাখ ৩৩ হাজার ১১৮ ব্যক্তির ওপর চার বছর ধরে পরিচালিত এক পর্যবেক্ষণমূলক জরিপের ফলাফল দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় বেরিয়েছে। পরীক্ষায় নিয়মিত রক্তচাপ ও ইউরিনে লবণের পরিমাণ দেখা হয়। এঁদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৫৫৯ জন ছিলেন উচ্চ রক্তচাপমুক্ত। এই গ্রুপের যাঁরা দিনে সাত গ্রামেরও বেশি সোডিয়াম, অর্থাৎ প্রায় তিন চা-চামচের বেশি লবণ খেয়েছেন, তাঁদের অসুখ-বিসুখ বা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়েনি। কিন্তু যাঁরা তিন গ্রামেরও কম সোডিয়াম খেয়েছেন, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৬ শতাংশ বেড়েছে (যাঁরা দিনে চার-পাঁচ গ্রাম সোডিয়াম খেয়েছেন তাঁদের তুলনায়)।৩. যাঁদের রক্তচাপ বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রেও হিসাবটা প্রায় একই ধরনের। যাঁরা দিনে সাত গ্রামের বেশি সোডিয়াম খেয়েছেন, তাঁদের ঝুঁকি বেড়েছে ২৩ শতাংশ, কিন্তু যাঁরা খেয়েছেন দিনে তিন গ্রামেরও কম সোডিয়াম, তাঁদের ঝুঁকি বেড়েছে ৩৪ শতাংশ (যাঁরা দিনে চার-পাঁচ গ্রাম সোডিয়াম খেয়েছেন তাঁদের তুলনায়)।৪. পরীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, কম লবণ রক্তচাপ কমায় বটে, কিন্তু খুব কম খেলে আবার ঝুঁকি বাড়ে।৫. বতর্মান নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, বেশির ভাগ মানুষ দিনে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৩ গ্রাম সোডিয়াম খেতে পারেন; যা এক চা-চামচ লবণে রয়েছে। বয়স বেশি হলে আরেকটু কম লবণ খেতে হবে।সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ২৫ মে ২০১৬ | 240,668 |
উজ্জ্বল মেহেদী | opinion | মতামত | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১২ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৫ | মতামত | null | নামকরণ, নামহরণ! | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/637447 | বর্ষায় অবারিত জলরাশি, আর শুষ্ককালে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ—এই হচ্ছে হাওর। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনপদ সুনামগঞ্জ হাওর, নদী আর সীমান্তের ওপারে পাহাড়বেষ্টিত। যাতায়াতে সড়কপথ একটিই। সিলেট থেকে সড়কপথে সুনামগঞ্জ যেতে দেখার মধ্যে যে হাওর, নাম তার দেখার হাওর।সুনামগঞ্জ শহর থেকে দেখা যায় বলেই হয়তো এমন সহজিয়া নামকরণ। দেখার হাওর নাম হলেও এ হাওরে এখনো চোখ মুদলে দেখা যায় একটি নাম। মরমি কবি হাসন রাজা, তাঁর বজরা আর গানবিলাস হাওরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে আছে। যেন হাসন রাজার সেই গানের মতোই, ‘আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ রে...’।‘আঁখি মুঞ্জিয়া’ হোক, আর খুলেই হোক, সড়কপথে দেখার হাওর দেখতে দেখতেই শহর সুনামগঞ্জ পৌঁছাতে হয়। প্রবেশমুখে সড়কের দুই ধারে একটি স্থাপনা, নাম ‘হাসন তোরণ’। হাসন রাজার নামে এ যেন নীরব এক স্বাগত জানানোর আয়োজন। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে হাসন রাজার প্রপৌত্র জোছনাবাদী কবি হিসেবে পরিচিত মমিনুল মউজদীন (২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও এক ছেলেসহ নিহত) সুনামগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে এটি নির্মাণ করেছিলেন। সেখানে চোখ ফেললে নিদারুণ এক হতাশা ভর করে এখন। নির্মাণের পর আর একবারের জন্যও হাসন তোরণের সংস্কার হয়নি। এক পাশে ময়লার বর্জ্য ফেলে নিঃশেষ করার অপচেষ্টা চলছে নীরবে।দেওয়ান হাসন রাজা (১৮৫৪-১৯২২) জমিদার ছিলেন। কিন্তু তিনি জমিদার নন, গানের রাজা হয়ে বেঁচে আছেন। হাসন তোরণ উন্মোচনে সাদামাটা এক আয়োজন হয়েছিল। মনে পড়ে, এক বিকেলে কবি মমিনুল মউজদীন ভাটি অঞ্চলের গণমানুষের নেতা বাম রাজনীতিবিদ প্রয়াত কমরেড বরুণ রায়কে সঙ্গে করে নিয়ে হাসন তোরণ উন্মোচন করেছিলেন। বরুণ রায় হাসন তোরণ উন্মোচন করে কিছু বলতে গিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন। গণমানুষের কবি দিলওয়ারের কবিতা ‘সূর্য অস্ত যায় না কখনো...’। কবিতার সেই ‘সূর্য’ কি তবে হাসন রাজা ছিলেন? এমন প্রশ্ন উঁকি দিলেও সেদিন সবারই বোঝা হয়ে গিয়েছিল কবিতার পঙ্ক্তি দিয়ে বরুণ রায় কী বলতে চেয়েছিলেন।নামকরণ করে আবার নামহরণ করলে আপাতদৃষ্টিতে মিইয়ে যায় নামখানি। ক্ষমতার দাপটে হাসন রাজা একাডেমি থেকে হাসন রাজা নাম নিয়ে এমন ‘খেইড়’ হলেও তাঁর গানের মধ্য থেকে কি নাম হরণ করা যাবে?আসলে সূর্যের মতো যাঁরা সত্য, তাঁদের আর নামকরণ করে জিইয়ে রাখার দরকার পড়ে না। তবু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে চির জাগরূক করে রাখতে নামকরণ প্রয়োজন ছিল। হাসন রাজার নামে সেই তোরণখানিই এখন সুনামগঞ্জে যাত্রাপথে নামের সুবাস মাত্র। সুনামগঞ্জকে হাওরের জনপদ আর ভাটির জেলা বা অন্য হাজারো উপমায় ডাকি না কেন, হাসন রাজার দেশ নামটি কিন্তু আনমনেই সবার মনে গাঁথা।জনমনে গাঁথা থেকে অতীতে নানা জায়গার নামকরণও হয়েছে। শহরের মধ্যে আছে একটি মহল্লার নাম হাসননগর। আছে ‘হাসন বসত’ আর ‘হাসন বাহার’ নামে আরও দুটো গ্রাম। হাসন রাজার বংশের কথা মনে পড়ে যায় বলে অতিসম্প্রতি সুনামগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়নের পুরোনো নাম ‘কোরবানি’ দিয়ে রাখা হয়েছে ‘কোরবাননগর’। হাসন রাজাপ্রেমীদের অনুযোগ, ক্ষমতার দাপট খাটানো একটি মহল এতে সফল হওয়ায় নবনির্মিত হাসন রাজা একাডেমির নামকরণ এবারের কোরবানির ঈদের আগেই ‘কোরবানি’ দেওয়ার অপচেষ্টা শুরু করেছে। তাই তো প্রতিবাদে এককাট্টা সুনামগঞ্জ শহরের হাসন-সংস্কৃতি অনুরাগীরা।কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের দাবি নয়, ‘হাসন রাজা একাডেমি’ নামে একটি বাউল-সংস্কৃতির কেন্দ্র নির্মাণ প্রায় তিন দশক কাল আগের দাবি। ১৯৭৩ সালে সুনামগঞ্জ শহরে প্রথম হাসন রাজার নামে লোক-উৎসব হয়েছিল। হাসন রাজার নামে একটি একাডেমি স্থাপনের জন্য ১৯৭৫ সালের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ হাজার টাকার সরকারি অনুদান দিয়েছিলেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের প্রচেষ্টায় এ অনুদান এসেছিল। ১৯৭৫ থেকে ২০০৪ সাল, দীর্ঘ অপেক্ষার পর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসন রাজা একাডেমি নামে প্রকল্প অনুমোদন হয়।২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তৎকালীন উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরীর প্রচেষ্টায় একনেকের বৈঠকে হাসন রাজা একাডেমির নামে অর্থ বরাদ্দ হয়। দুই বছর পর প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হাসন রাজা লোক উৎসবে হাসন রাজা একাডেমি প্রকল্পের কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক। ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে ‘হাসন রাজা একাডেমি স্থাপন প্রকল্প’ হিসেবে সব কাগজপত্র, দলিলাদি এখনো সুরক্ষিত আছে।সাত বছর পর যখন নির্মাণকাজ শেষ, উদ্বোধনের অপেক্ষা, ঠিক তখনই প্রকল্পে থাকা সত্ত্বেও নামকরণ উধাও হয়ে যায়। হাসন রাজা একাডেমি এখন শিল্পকলা একাডেমী নামে উদ্বোধনের তোড়জোড় চলছে। স্বাভাবিকভাবে সবার আগে সংস্কৃতিকর্মীরা মর্মাহত হওয়ার কথা। কিন্তু সুনামগঞ্জের দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, সংস্কৃতিকর্মীর চেয়ে সাধারণ মানুষ আরও বেশি মর্মাহত। কারণ, হাসন রাজা এবং তাঁর সৃষ্টি গান।হাসন রাজাকে নিয়ে নানা কেচ্ছা-কাহিনি সুনামগঞ্জে প্রচলিত। বলা হয়ে থাকে, লক্ষণছিরি (সুনামগঞ্জ শহর) থেকে রামপাশা (সিলেটের বিশ্বনাথ, হাসন রাজার পৈতৃক বাড়ি) পর্যন্ত যে মাটিতে পা ফেলবেন, দলিল–দস্তাবেজ ঘেঁটে সেই সব জায়গার মালিকানায় পাওয়া যাবে হাসন রাজার নাম। চাইলে সুনামগঞ্জের নাম পাল্টে হাসন রাজা নিজের নামে করে যেতে পারতেন!এমনটি করলে অবশ্য জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নাম মুছে যেত। কিন্তু হাসন রাজা জমির রাজা না হয়ে হয়েছিলেন গানের রাজা। যে গান সর্বসাধারণের মন কাড়ছে জমিদারি বিলুপ্তির এতকাল পরও। নামকরণ করে আবার নামহরণ করলে আপাতদৃষ্টিতে মিইয়ে যায় নামখানি। ক্ষÿমতার দাপটে হাসন রাজা একাডেমি থেকে হাসন রাজা নাম নিয়ে এমন ‘খেইড়’ (খেলার আঞ্চলিক শব্দ, হাসন রাজার একটি জনপ্রিয় গানে এ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে) হলেও তাঁর গানের মধ্য থেকে কি নাম হরণ করা যাবে? যাবে না কখনো।উজ্জ্বল মেহেদী: সিলেটে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক।ujjalmehedi@gmail.com | 170,875 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:২৪ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:২৫ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | এক টেস্ট জিতলেই ভারত জিতবে ১ মিলিয়ন ডলারও! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1083247 | অপেক্ষা শুধু এপ্রিলের ১ তারিখের। সেদিনই আইসিসির কাছ থেকে মহামূল্যবান সে চেকটা পেয়ে যাবেন বিরাট কোহলি। ১ মিলিয়ন ডলারের সে চেকটা নিজেদের কাছে রাখতে চাইলে ছোট্ট একটা কাজ করতে হবে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে হবে শুধু একটা টেস্ট! চার টেস্টের সিরিজে ভারত নিজেদের মাটিতে একটি টেস্টও জিতবে না, তা কি হয়! আর সেই ম্যাচ জিতলেই অন্তত ১ এপ্রিল পর্যন্ত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকাটা নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতের। সে কীর্তির পুরস্কার হিসেবে পাবেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লোভনীয় অঙ্কের সে চেক। দেশের মাটিতে ভারত যে ফর্মে আছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেসেখেলে জেতার কথা তাদের। তবু যদি অঘটন ঘটেই যায়, সে ক্ষেত্রেও সমস্যা নেই। কারণ, টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের রেটিং পয়েন্ট এখন ১২১। দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সেটা ১০৯। এ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া যদি ৩-০ কিংবা ৪-০ ব্যবধানে জেতে, তাহলেই শুধু ভারতকে টপকে যাবে স্টিভ স্মিথের দল। কিন্তু ভারত যদি শুধু একটা টেস্টও জিতে যায়, তাহলে ৩-১ সিরিজ জিতেও লাভ হবে না স্মিথদের, ভগ্নাংশের ব্যবধানে হলেও দুইয়েই থাকতে হবে তাঁদের। আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার এখন দেওয়া হয় ১ এপ্রিলের মধ্যে যে দল র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকে, তাদের। একে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গদার মতো দেখতে ট্রফিটার হাত বদল হলেও প্রাইজমানি কিন্তু মেলে শুধু ওই তারিখে শীর্ষে থাকা দলের। যে অঙ্কটা ১ মিলিয়ন ডলারের! র্যাঙ্কিংয়ের একে উঠে গদাটা এরই মধ্যে নিজেদের দখলে নিয়ে রেখেছে ভারত। এবার চেকটাও নিজেদের ব্যাংক হিসাবে জমা পড়া মনে হচ্ছে সময়ের ব্যাপার।অস্ট্রেলিয়ার ৩-০ কিংবা ৪-০ ব্যবধানে জেতার সম্ভাবনা কিন্তু শুধু কাগজে-কলমে, গাণিতিক হিসাব-নিকাশ। ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া স্বাগতিকদের ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারাবে এমন দিবাস্বপ্ন সম্ভবত অধিনায়ক স্মিথ কিংবা কোচ ড্যারেন লেম্যানও দেখছেন না! সর্বশেষ দুই ভারত সফরেই ধবল ধোলাই হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর ভারত যে টেস্টে হার কী, সেটাই ভুলে যেতে বসেছে। সেই ২০১৫ সালে গল টেস্টে হেরেছিল ভারত। এরপর টানা ১৯ টেস্টে অপরাজিত কোহলির দল। সে ধারাটা ভাঙার সম্ভাবনা খুব একটা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। ক্ষীণ শক্তির শ্রীলঙ্কার কাছেই কদিন আগে ধবল ধোলাই হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ সিরিজে হার এড়াতে পারলেই তাই হয়তো খুশি হবে তারা। কোহলির হাতে চেকটা দেখার নিশ্চয়তা নিয়ে নেওয়াই সে ক্ষেত্রে ভালো। সূত্র: পিটিআই। | 294,348 |
এ কে এম জাকারিয়া | opinion | মতামত | ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:৫৮ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:১৫ | এ কে এম জাকারিয়া,রাজনীতি,লেখকের কলাম | null | হায় নির্বাচন! | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1043269 | দেশে নির্বাচন এখন কীভাবে হয় বা হচ্ছে? রাজনীতিতে যাঁদের নানা পক্ষ-বিপক্ষ আছে, তাঁদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন কথাই শুনতে হবে। আপাতত সেই বিতর্কের দরকার নেই। আমরা সরকারি দলের একজন সাংসদের মুখেই শুনতে পারি একটি উপজেলা পষিদের নির্বাচনের গল্প। সভা করেই তিনি নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের কাহিনি শুনিয়েছেন। তিনি সংসদে বসে আইন তৈরি করেন, সেই আইনে আমাদের দেশ চলে। এমন একজন লোকের বলা কাহিনিকে তো আমাদের বিশ্বাস করতেই হয়!নাটোর-২ আসনের সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের যে গল্প বলেছেন, তা প্রকাশ করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তাঁর বলা কাহিনিটি এ রকম: সেই নির্বাচনে তাঁর দল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম রমজান আসলে হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাংসদ হিসেবে তিনি নিজে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রমজানকে জিতিয়ে দেন।কোনো রাখঢাক না রেখেই সাংসদ শিমুল বলেছেন, ‘নাটের সদর উপজেলা নির্বাচনে আমি শফিকুল ইসলাম রমজানকে ১৩৭ ভোটে জিতিয়ে দিয়েছি। রমজান নির্বাচনে হেরেছিল, কিন্তু আমি তাকে জিতিয়েছি।’ নিজের নির্বাচনী এলাকার (নাটের সদর ও নলডাঙ্গা) বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি তাঁর এই ‘কৃতিত্বের’ কাহিনি বলেছেন। নাটোর জেলার শংকর গোবিন্দ স্টেডিয়ামে গত শনিবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংসদ শিমুলের নিজের মুখে বলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এই কাহিনির অডিও টেপটি ডেইলি স্টারের কাছে আছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে রমজান বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং এখনো সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।নির্বাচনের রমজান হেরেছেন, কিন্তু তাঁকে জিতিয়ে দিয়েছেন সাংসদ শিমুল—এই যখন অভিযোগ, তখন সাংবাদিকতার নিয়ম মেনে ডেইলি স্টার রমজানের মন্তব্য জানতে চেয়েছে। তাঁর মন্তব্য কী হতে পারে, তা নিশ্চয়ই পাঠক অনুমান করতে পারছেন! ‘এমপি শিমুল আমার বিরুদ্ধে অসত্য মন্তব্য করেছেন। রাজনৈতিকভাবে আমার ক্ষতি করতে এবং আমার পরিষ্কার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তিনি এ কাজ করেছেন।’ প্রিয় পাঠক, আপনারা কি এর বাইরে ভিন্ন কিছু ভেবেছিলেন?প্রশাসনকে প্রভাবিত করে স্থানীয় সাংসদ নিজ দলের পরাজিত প্রার্থীকে জিতিয়ে দিলেন অথচ তাঁর কোনো কৃতজ্ঞতা নেই! সাংসদ শিমুলের তাই আক্ষেপ, ‘আমি যাকেই নির্বাচনে জিতিয়ে দিই, সে-ই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার জন্য অনেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ রাজনীতিতে এখন বিরোধী দল বলে কিছু নেই। নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, তা হয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অথবা নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই। সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। আর তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জিতিয়ে দিয়েছেন তাঁর দলের প্রার্থী রমজানকে। এভাবে চললে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়! কিন্তু একই এলাকায় রাজনীতি করেন দুই শফিকুল ইসলাম। ক্ষমতা আর ভাগ-বাঁটোয়ারার কতই-না হিসাব-নিকাশ! দুই শফিকুল ইসলাম, অর্থাৎ শিমুল আর রমজান তাই মিলেমিশে থাকতে পারেন না। ‘ষড়যন্ত্র’ বা ‘ভাবমূর্তি’ নষ্টের চেষ্টা তো এখন নিজেদের দলের মধ্যেই হবে!এই যে একজন সাংসদ বললেন, তিনি তাঁর দলের পরাজিত প্রার্থীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জিতিয়ে দিয়েছেন, এ নিয়ে কি আমাদের সমাজে বা রাজনীতিতে কোনো প্রতিক্রিয়া আছে? আমরা কি তবে ধরেই নিয়েছি যে নির্বাচন তো এখন এভাবেই হয়! অথবা আমদের একজন আইনপ্রণেতা কী বললেন না-বললেন, তাতে আমাদের কিছু আসে-যায় না! সাংসদ যা বলার বলেছেন আর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তা অস্বীকার করেছেন—এর মধ্যেই বিষয়টি মিটে গেল? দলের মধ্যেও এ নিয়ে কোনো নড়াচড়া হবে না? শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে কিছু নেই? এঁদের নিয়েই দলকে চলতে হবে? চলতে হবে আমাদের এবং দেশকে?আর নির্বাচনকেই-বা আমরা কোথায় নিয়ে গেছি বা যাচ্ছি! | 275,682 |
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:০৩ | ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:০৪ | সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | সিরাজগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1064797 | সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চক পাঙ্গাসী গ্রামে গতকাল শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের বিবদমান জমিতে একটি সেচযন্ত্র নিয়ে হাসানুর রহমান ও জহুরুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গতকাল সকালে জহুরুল ইসলামের লোকজন সেচপাম্পের আওতায় থাকা পানির নালা পরিষ্কার করতে যান। এ সময় প্রতিপক্ষ হাসানুরের লোকজন তাঁদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হন। এ সময় আবদুল লতিফ, আফাজ আলী, জালিম উদ্দিন, মজনু মিয়ার বাড়িসহ সাতটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।খবর পেয়ে থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আহতদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এ বিষয়ে জহুরুল ইসলাম ও হাসানুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষ আহত রোগীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করতে আসেনি। | 285,709 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৩ মার্চ ২০১৫, ০৩:৪৬ | ২৩ মার্চ ২০১৫, ১২:৩১ | এশিয়া | null | আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ানের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/international/article/484327 | স্বাধীন সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইউ মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। লি কুয়ানের ছেলে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি হেসিয়েনের প্রেস সচিব এক বার্তায় ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে’ জানান, লি কুয়ান মারা গেছেন।বিবিসির খবরে বলা হয়, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানীয় সময় আজ সোমবার বেলা ৩টা ১৮ মিনিটে লি কুয়ান ইউ মারা যান। ৯১ বছর বয়সী বর্ষীয়ান এই রাষ্ট্রনায়ক মারাত্মক নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তিনি গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হন।বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, লি হেসিয়েন বাবা লি কুয়ান ইউয়ের মৃত্যুর খবর তাঁর ফেসবুকে দেন। সঙ্গে সঙ্গে এ খবর সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন লি কুয়ান ইউয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।লি কুয়ান ইউ ১৯৫৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত সরকারের হয়ে কাজ করে গেছেন। ক্ষুদ্র একটি নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরকে এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশে রূপান্তর এবং দেশটির আধুনিকায়নে লি কুয়ানের অবদান বিশাল। তবে একই সঙ্গে ক্ষমতা এককেন্দ্রিক করে রাখার জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। তাঁর শাসনামলে বাক স্বাধীনতার হরণের অভিযোগও আছে। | 125,266 |
ধরমপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ জুলাই ২০১৬, ০১:৩৮ | ১৩ জুলাই ২০১৬, ০১:৩৯ | বিশাল বাংলা,সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ | 0 | ধরমপাশায় যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/912610 | হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ও সড়ক কেটে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার পলাতক দুই আসামিকে সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার রাজাপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।ধরমপাশা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ও ঘুলুয়া-রাজাপুর সড়কের বেশ কিছু অংশ কেটে মাছ শিকার করায় সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৪ মে সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অপু, সদস্য আবুল খায়েরসহ ৫৪ জনকে আসামি করে ধরমপাশা থানায় একটি মামলা হয়। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। এই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা পলাতক থাকায় আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার রাত দুইটার দিকে নিজ নিজ বসতঘর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ধরমপাশা থানার ওসি মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ও সড়ক কেটে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার অভিযোগে হওয়া মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি অপু ও আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাঁদের ধরমপাশার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের হাকিম তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। | 239,590 |
রাঙামাটি অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:২১ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:২২ | রাঙামাটি,বিশাল বাংলা,চট্টগ্রাম বিভাগ,দুর্ঘটনা | 0 | বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে পিষ্ট হলো শিশুটি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/423322 | ভর্তি হওয়ার মাত্র ১৩ দিনের মধ্যেই বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছে জুমান চাকমা (৫) নামের এক স্কুলছাত্র। গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটি সদর উপজেলার রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি ইউনিয়নের ধর্মঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জুমান উপজেলার ধর্মঘর গ্রামের অজিত কুমার চাকমার ছেলে। সে কুতুকছড়ি বাজারে অবস্থিত বিএম কেজি স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওই দুর্ঘটনায় আহত জুমানের মা পদ্মাদেবী চাকমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সন্তু বিকাশ চাকমা জানান, পয়লা জানুয়ারি জুমান চাকমাকে বিএম কেজি স্কুলে ভর্তি করা হয়। গত কয়েক দিনের মতো গতকাল জুমানকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন পদ্মাদেবী চাকমা। পথে সকাল সাতটার দিকে ধর্মঘর এলাকায় একটি ট্রাক তাকে (জুমান) চাপা দেয়। এতে জুমানের মাথা থেঁতলে গিয়ে রাস্তার সঙ্গে মিশে যায়। এ সময় পদ্মাদেবী ট্রাকের ধাক্কায় দূরে ছিটকে পড়ে আহত হন। স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। তবে ট্রাকের ওপর থাকা পাঁচজন শ্রমিক সেখানেই ছিলেন। তাঁরা জানান, ট্রাকটি বাঁশ আনার জন্য নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে যাচ্ছিল। ট্রাকের চালক ও সহকারীর নাম তাঁদের জানা নেই। ঘটনার পরপরই পদ্মাদেবীকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ওই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নূযয়েন খীসা প্রথম আলোকে জানান, পদ্মাদেবীর আঘাত তেমন গুরুতর নয়। এর পরও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ছেলের মৃত্যুতে পদ্মাদেবী প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেয়েছেন।সন্তু বিকাশ চাকমা ও আরও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে অজিত কুমার চাকমা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। স্ত্রী পদ্মাদেবীও হাসপাতালে ভর্তি। এ কারণে তাঁদের অভিভাবকসহ গ্রামবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মামলা করা হবে না। যা হওয়ার হয়ে গেছে। | 106,677 |
-1 | sports | খেলা | ০৫ জুলাই ২০১৪, ০০:০১ | ০৫ জুলাই ২০১৪, ০০:০১ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,২০১৪ বিশ্বকাপ, ব্রাজিল,বিশ্বকাপ কিংবদন্তি,মাঠের বাইরে | 0 | ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী’র অবসর | http://www.prothom-alo.com/sports/article/258649 | শিল্পীর ক্যানভাসে টিম হাওয়ার্ড, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় মাতামাতি, প্রেসিডেন্টের টেলিফোন—তিনিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের নায়ক। এত এত অর্জনের পর জাতীয় দলে থাকা নিয়ে কী ভাবছেন টিম হাওয়ার্ড? জানা গেছে, তাঁর ভাবনাজুড়ে বইছে অবসরের মৃদু বাতাস।২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ অনেক দূরের পথ। তখন বয়স হয়ে যাবে ৩৯। এতটা পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে না। হাওয়ার্ড তাই এখনই উত্তরসূরির কাছে সঁপে দিতে চান দায়িত্ব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনই নিচ্ছেন না। শুধু বয়সই নয়, আরও অনেক কিছু নিয়েও এখন ভাবতে হচ্ছে, ‘ইনজুরির কথা তো পরিষ্কার করে বলা যায় না। এমনটি নয় যে আমি ফিট থাকব এবং দলের সঙ্গেই থাকব। আরও অনেক কিছু আছে যেগুলো অবসরের কথা ভাবায়। এটি শুধুই শারীরিক ব্যাপার নয়। তাই সময়মতোই সিদ্ধান্ত নেব।’ গোলডটকম। | 75,208 |
পাবনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুলাই ২০১৩, ০২:৫৩ | ২৩ জুলাই ২০১৩, ০২:৫৪ | পাবনা,দুর্ঘটনা | 0 | পাবনায় নৌকাডুবি, পাঁচ স্কুলছাত্রী নিখোঁজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/28460 | পাবনা সদর উপজেলায় পদ্মা নদীতে গতকাল সোমবার নৌকা ডুবে পাঁচ স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। তাদের বাড়ি উপজেলার ভাদুরডাঙ্গি গ্রামে।নিখোঁজ ছাত্রীরা হলো দুলু খাতুন (১২), শারমীন আক্তার (১৩), ময়না খাতুন (১৩), চম্পা খাতুন (১৩) ও রহিমা খাতুন (১০)। এরা সবাই ভাদুরডাঙ্গি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। উপবৃত্তির টাকা আনতে একই উপজেলার কোলচরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল।শিক্ষার্থীদের বহনকারী নৌকার মাঝি নীরব উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ১১ স্কুলশিক্ষার্থীকে নিয়ে পদ্মা নদী দিয়ে কোলচরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। মাঝ নদীতে হঠাৎ বাতাসে বড় ঢেউ উঠলে নৌকাটি উল্টে ডুবে যায়। এ সময় এলাকাবাসী ছুটে এসে ছয় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। কিন্তু অন্যদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।নিখোঁজ দুলু খাতুনের বাবা তজু সরদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সহালে মিয়েডা মেলা খুশি নিয়ে বাড়িতথেন বাইর হইছিল। আমাক কইছিল টাহা নিয়ে আসলি ঈদির জন্যি জামা কিনে দেওয়া লাগবি। পদ্মা আমার মায়াডাক খায়া ফেলাল।’সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার বলেন, ‘পাবনায় ডুবুরি না থাকায় রাজশাহী থেকে ডুবুরিদের আসতে একটু দেরি হয়েছে। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা থেকে আটজন ডুবুরি উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। | 4,491 |
ভোলা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:২৪ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:২৭ | ভোলা,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | আনন্দ মিছিল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/732064 | ভোলার ইলিশা জংশন এলাকায় ভাঙন রোধে কাজের দরপত্র অনুমোদন দেওয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী ও পানিসম্পদমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক সাঈদ আলী বলেন, ‘ব্লক ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের দাবিতে আট মাস ধরে অনশন, সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ, মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশসহ টানা আন্দোলন করেছি। ভোলা সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ভাঙন রক্ষায় ৩১০ কোটি টাকার দরপত্রের অনুমোদন দেওয়ায় আমরা খুশি।’ ভোলা জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা বলেন, মৎস্য, শস্য, সবজি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পর্যটনে সমৃদ্ধ ভোলাকে বাঁচাতে ভাঙনের প্রতিরোধের বিকল্প নেই। তিনি দরপত্র আহ্বানের অনুমোদন দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। | 189,906 |
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০৩ | ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০৩ | কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | কসবায় একজনের ডিলারশিপ বাতিল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1029889 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল (দুই টন) পাচারের চেষ্টার অভিযোগে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের ডিলার মো. কামরুজ্জামানের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। গত রোববার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রকল্প কমিটি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার কামরুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার গুদাম থেকে ১৪৫ বস্তা চাল তোলেন। ওই চাল থেকে ১০৫ বস্তা তিনি তাঁর গুদামে নিয়ে রাখেন। সন্ধ্যায় বাকি ৪০ বস্তা চাল নিয়ে ট্রাকচালক শামিম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রওনা দেন। | 269,797 |
যশোর অফিস | education | শিক্ষা | ১৮ মে ২০১৪, ০০:৪৯ | ১৮ মে ২০১৪, ০০:৫০ | খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,এস এস সি পরীক্ষার ফল | 0 | পাসের হার কমলেও জিপিএ–৫ বেড়েছে | http://www.prothom-alo.com/education/article/218743 | যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও পাসের হার কমেছে৷ সেই সঙ্গে কমেছে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা৷এ বছর পাসের হার ৯২ দশমিক ১৯ শতাংশ৷ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৯৪৪ জন শিক্ষার্থী৷ গত বছর পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৬২ শতাংশ৷ জিপিএ-৫ পেয়েছিল নয় হাজার ৮৬ জন৷ বোর্ডের অধীনে খুলনার ১০ জেলার দুই হাজার ৪৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে৷ গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪৯৬টি৷এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু দাউদ বলেন, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১১টি কমে গেছে৷ এ কারণে মোট পাসের হারও কিছুটা কমেছে৷যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ও খুলনার মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল (এমসিএসকে) ৯১ পয়েন্ট পেয়ে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে৷ সেরা ২০-এর তালিকায় খুলনার নয়টি, যশোরের পাঁচটি, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের দুটি করে এবং সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের একটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে৷সেরা তালিকা থেকে তিন জেলা সটকে পড়ার কারণ জানতে চাইলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেধা তালিকায় থাকার জন্য প্রতিযোগিতা বেড়েছে৷ নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে৷ এ কারণে পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলো হয়তো পিছিয়ে পড়ছে৷’ | 74,244 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মে ২০১৪, ০২:৩২ | ১৩ মে ২০১৪, ০২:৩৩ | রাজধানী (জাতীয়) | null | সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ চাই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/215251 | জননিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের কাছে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ চাইলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। একই সঙ্গে ‘ব্লেম গেম’(পরস্পরকে দোষারোপ করার সংস্কৃতি) থেকে দূরে থাকতে রাজনীতিবিদদের তাগিদ দেন তিনি।গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জননিরাপত্তা ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন৷ গুলশান নিকেতন রিক্রিয়েশন সোসাইটি এ সেমিনারের আয়োজন করে৷নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদের কেউ স্পর্শ করার সাহস পেত না, তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের সবার উচিত সরকারকে অভিনন্দন জানানো। এখন অপেক্ষা করি, সরকার কী করে।’সেমিনারে সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলেই সমাজে সমস্যা তৈরি হয়।সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকার জনসমর্থন থেকে দূরে সরে গেলে রাষ্ট্রীয় সংগঠনের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেছে, রাষ্ট্রীয় সংগঠনে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।অনুষ্ঠানে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম আমানুল্লাহ, সাংবাদিক অজয় দাশ, গুলশান নিকেতন রিক্রিয়েশন সোসাইটির সভাপতি আহসান হাবীব প্রমুখ বক্তব্য দেন। | 72,806 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩২ | ০২ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩৩ | -1 | 0 | শোকের মাস শুরু, নানা আয়োজন আ.লীগের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1274351 | রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, আলোর মিছিল, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, দোয়া-মিলাদসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে শোকের মাসের কর্মসূচি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনাসদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে।গত সোমবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আলোর মিছিল দিয়ে শোকের অনুষ্ঠানমালার শুরু হয়। গতকাল বিকেলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কাছে কৃষক লীগের আয়োজনে একটি রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রক্তদান কর্মসূচির পাশাপাশি সেখানে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু একটি পরিবারকেই হত্যা করা হয়নি, এটি বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে হত্যা করার অপচেষ্টা। তিনি বলেন, জাতির জনককে হত্যার ষড়যন্ত্রে খোন্দকার মোশতাকের সঙ্গে জিয়াউর রহমানও যে হাত মিলিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে মাসব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে যুবলীগ। | 330,213 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৫ জুলাই ২০১৭, ০১:৪৮ | ২৫ জুলাই ২০১৭, ০১:৪৮ | ক্রিকেট | 0 | দাবি না মানলে বাংলাদেশ সফর নয় | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1264461 | ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) দাবি না মানলে বাংলাদেশ সফরে আসবেন না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভোটেই নেওয়া হয়েছে সিরিজ বয়কটের সিদ্ধান্ত। তবে বিসিবি বলছে, অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে এখনো তারা আশাবাদী। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভেন্যু ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখার জন্য আজ বাংলাদেশে আসছে সিএর প্রতিনিধিদল।অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর, খেলোয়াড়দের সংগঠনের প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকলসনের সঙ্গে কাল আলোচনায় বসেছিলেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। সিএর সঙ্গে খেলোয়াড়দের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর করণীয় ঠিক করতেই তাঁদের একসঙ্গে বসা। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সেখানে কথা হয় বাংলাদেশ সফর নিয়েও। তাতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে—বাংলাদেশ সফর সামনে রেখে ১০ আগস্ট থেকে ডারউইনে শুরু হতে যাওয়া প্রস্তুতি ক্যাম্পে ক্রিকেটাররা যোগ দেবেন। কিন্তু সিএর সঙ্গে ক্রিকেটারদের চুক্তি না হলে বাংলাদেশের উদ্দেশে তাঁরা দেশ ছাড়বেন না। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বয়কট করার আগে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলও হেঁটেছিল এই পথেই।ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আগামী ১৮ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশে আসার কথা। অগ্রবর্তী পর্যবেক্ষক দলের এসে যাওয়ার কথা আজই। প্রথম টেস্টের ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, দুই শহরের হোটেল এবং তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু ফতুল্লা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখবেন তাঁরা।তবে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া এলেও প্রস্তুতি ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ফতুল্লায় হবে বলে মনে হয় না। বেশ কয়েক মাস ধরে জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা ফতুল্লা স্টেডিয়ামের অবস্থা গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আরও খারাপ হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচটি তাই সেখান থেকে সরিয়ে বিকেএসপিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে বিসিবি। তবে সিএর পর্যবেক্ষকেরা না আবার ভেবে বসেন, ভেন্যু বদলের কারণ নিরাপত্তাঝুঁকি, সে জন্য প্রয়োজনে তাদের ফতুল্লায় নিয়ে বাস্তব চিত্রটা দেখিয়ে আনা হবে।অস্ট্রেলিয়ায় খেলোয়াড়দের আলোচনা-সিদ্ধান্ত যে রকমই হোক না কেন, আপাতত বিসিবির চিন্তা সিএর প্রতিনিধিদলের তিন দিনের সফর। কাল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানালেন, ‘আজ (গতকাল) সকালেও যোগাযোগ হয়েছে। প্রতিনিধিদল আসছে, আমরা এটাই জানি।’ | 328,586 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৯:১৮ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৯:১৯ | খবরাখবর | 0 | দেশে ই-স্টোর চালু করলো ট্রান্সকম মোবাইল | http://www.prothom-alo.com/technology/article/46178 | বাংলাদেশে স্যামসাং ই-স্টোর চালু করেছে ট্রান্সকম মোবাইল। এ ই-স্টোর থেকে অনলাইনে দিনের যেকোনো সময়ে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন কেনা যাবে।ই-স্টোরে ভিসা, মাস্টারকার্ড, ডিবিবিএল নেক্সাস, ডিবিবিএল মোবাইল ওয়ালেট, কিউ ক্যাশ এবং বিকাশ মোবাইল ওয়ালেটের মতো স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে মাধ্যমে কিস্তিতেও স্মার্টফোন কেনার সুবিধা থাকবে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ উদ্যোগ গ্রহন করেছে ট্রান্সকম মোবাইল।ই-স্টোরে স্যামসাং গ্যালাক্সি কোর স্মার্টফোন কেনার মাধ্যমে ই-স্টোরের উদ্বোধন করেন ট্রান্সকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক আরশাদ ওয়ালিউর রহমান, ট্রান্সকম মোবাইলের সিওও আরশাদ হকসহ অন্য কর্মকর্তারা।ট্রান্সকম মোবাইল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ই-স্টোরে পণ্যের ফরমায়েশ দেওয়ার পর ঢাকা শহরের মধ্যে তিন দিনের মধ্যে পণ্য বুঝে পাবেন ক্রেতা।ই-স্টোরে যাওয়ার লিংক http://transcommobile.com/ | 15,523 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ আগস্ট ২০১৬, ০০:১৫ | ১৮ আগস্ট ২০১৬, ০০:১৬ | নাটোর,রাজনীতি,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | দাবি আদায়ে কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/949405 | ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গতকাল বুধবার নাটোরের নবাব সিরাজউদদৌলা (এনএস) সরকারি কলেজে ক্লাস বর্জন করে অধ্যক্ষের কার্যালয় ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।এনএস কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের আহ্বান জানান। এ সময় নেতা-কর্মীরা প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হওয়ার নির্দেশ দেন। এতে শিক্ষার্থীরাও তড়িঘড়ি করে শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। পরে নেতা-কর্মীরা ১৩টি বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেন। একপর্যায়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়েও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দিয়ে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি এস এস শাহাদৎ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান শাকিব প্রমুখ।শাহাদৎ হোসেন বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি শুধু ছাত্রলীগের নয়, এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন রয়েছে। তাঁরা সবাই মিলিতভাবে এই আন্দোলন করছেন। কোনো শিক্ষার্থীকে জোর করে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করা হয়নি। স্বেচ্ছায় তাঁরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা ও ইতিহাস বিভাগের দুই ছাত্র বলেন, তাঁরাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বন্ধ করে আন্দোলন করার বিপক্ষে। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হুমকির মুখে তাঁরা তাঁদের মতামত তুলে ধরতে পারছেন না। এতে সবারই পড়ালেখা ব্যাহত হবে।কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুস মৃধা বলেন, শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত করতে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। | 251,105 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মার্চ ২০১৭, ০৭:২০ | ০৭ মার্চ ২০১৭, ০৭:২৩ | কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর | 0 | আরও চার কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1100167 | কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ঋণখেলাপির অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পারভিন আক্তার, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর মো. কবির হোসেন ভূঁইয়া, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আক্তার হোসেন এবং হলফনামায় সই না থাকার কারণে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমান গণির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়। এতে ওই চার ব্যক্তির প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।এর আগে গত রোববার এক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও দুই সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে এক মেয়র প্রার্থী, পাঁচজন সাধারণ কাউন্সিলর ও একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো। রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল তাঁর প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।জানা যায়, গতকাল সকাল নয়টায় সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই করা হয়। এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদেও যাচাই-বাছাই হয়। বর্তমানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪০ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৫ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ হবে। ওই দিন থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে। ৩০ মার্চ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, যাঁদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা ৭ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন। | 300,242 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ জুলাই ২০১৩, ০২:১৭ | ০৮ জুলাই ২০১৩, ০২:১৮ | গাজীপুর সিটি করপোরেশন,বিশাল বাংলা | 0 | বিজয়ী কাউন্সিলরদের ২৭ জন আ.লীগ, ২৫ জন বিএনপির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/20754 | গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান। অপরদিকে নগরের ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টিই দখলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বিএনপি-সমর্থিতরা পেয়েছেন ২৫টি। বাকি পাঁচটির দুটি পেয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তিনটি স্বতন্ত্র।রিটার্নিং কর্মকর্তা গতকাল রোববার দিনভর শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে অবস্থিত রিটার্নিং অফিসে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল ঘোষণা করেন।এর আগে গত শনিবার রাতে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মেয়র পদের পাশাপাশি সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। প্রার্থীরা রাতে ফলাফল নিয়ে বাড়ি ফিরলেও গতকাল সকাল থেকে তাঁরা ভিড় করতে থাকেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। সেখান থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীরা তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে ওই কার্যালয় আসেন। তাঁরা সেখান থেকে চূড়ান্ত ফল নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় চলে যান।সাধারণ কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলররা হলেন ২ নং ওয়ার্ডে মো. সোলায়মান মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ডে সাইজউদ্দিন মোল্লা, ৬ নং ওয়ার্ডে মো. গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ৮ নং ওয়ার্ডে সেলিম রহমান, ৯ নং ওয়ার্ডে শফিকুল আমিন, ১০ নং ওয়ার্ডে খলিলুর রহমান, ১৩ নং ওয়ার্ডে খোরশেদ আলম সরকার, ১৮ নং ওয়ার্ডে ছফর আলী, ২৫ নং ওয়ার্ডে শওকত আলম, ২৭ নং ওয়ার্ডে জাবেদ আলী, ৩০ নং ওয়ার্ডে জান্নাতুর রহমান, ৩২ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী, ৩৫ নং ওয়ার্ডে আবদুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, ৩৬ নং ওয়ার্ডে সানোয়ার রহমান, ৩৮ নং ওয়ার্ডে জিল্লু রহমান, ৩৯ নং ওয়ার্ডে মাসুদুল হাসান, ৪০ নং ওয়ার্ডে আজিজুর রহমান, ৪১ নং ওয়ার্ডে বজলুর রহমান, ৪৩ নং ওয়ার্ডে আসাদুর রহমান, ৪৪ নং ওয়ার্ডে আজাহারুল ইসলাম, ৪৫ নং ওয়ার্ডে শাহ আলম, ৪৬ নং ওয়ার্ডে নূরুল ইসলাম, ৪৭ নং ওয়ার্ডে হেলাল উদ্দিন, ৫০ নং ওয়ার্ডে কাজী আবুবকর, ৫১ নং ওয়ার্ডে মজিবুর রহমান, ৫৫ নং ওয়ার্ডে সেলিম হোসেন ও ৫৭ নং ওয়ার্ডে গিয়াস উদ্দিন সরকার।বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলররা হলেন ১ নং ওয়ার্ডে আবদুস সালাম আহাম্মদ আব্বাস, ৫ নং ওয়ার্ডে দবির উদ্দিন সরকার, ১১ নং ওয়ার্ডে আজহারুল ইসলাম মোল্লা, ১২ নং ওয়ার্ডে আব্বাস উদ্দিন ১৪ নং ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান, ১৫ নং ওয়ার্ডে ফয়সাল আহমেদ সরকার, ১৬ নং ওয়ার্ডে মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, ১৭ নং ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান, ১৯ নং ওয়ার্ডে তানভীর আহাম্মেদ, ২০ নং ওয়ার্ডে শহীদুল ইসলাম, ২২ নং ওয়ার্ডে ছবদের হাসান, ২৩ নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন, ২৪ নং ওয়ার্ডে মাহবুবুর রশিদ খান, ২৬ নং ওয়ার্ডে হান্নান মিয়া, ২৮ নং ওয়ার্ডে হাসান আজমল ভূঁইয়া, ২৯ নং ওয়ার্ডে খায়রুল আলম, ৩৩ নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান, ৩৪ নং ওয়ার্ডে মাহফুজুর রহমান, ৩৭ নং ওয়ার্ডে ফজলুল হক চৌধুরী, ৪২ নং ওয়ার্ডে সুলতান উদ্দিন, ৪৮ নং ওয়ার্ডে সফি উদ্দিন, ৫২ নং ওয়ার্ডে আতাউর রহমান, ৫৩ নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর আলম, ৫৪ নং ওয়ার্ডে শেখ আ. আলেক, ৫৬ নং ওয়ার্ডে আবুল হোসেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি-সমর্থিত দুজন হলেন ৭ নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবীর ও ৪৯ নং ওয়ার্ডের মো. বাদল। স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছেন ৪ নং ওয়ার্ডের এ ডি এম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, ২১ নং ওয়ার্ডে রফিকুজ্জামান।সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা হলেন ১ নং ওয়ার্ডে পারভীন আক্তার, ২ নং ওয়ার্ডে মাহমুদা আলম, ৩ নং ওয়ার্ডে মিসেস শিরিন চাকলাদার, ৪ নং ওয়ার্ডে শাহনাজ পারভীন, ৫ নং ওয়ার্ডে বকুল আক্তার, ৬ নং ওয়ার্ডে আমেনা খাতুন, ৭ নং ওয়ার্ডে পারভীন আক্তার, ৮ নং ওয়ার্ডে আঞ্জুমানারা, ৯ নং ওয়ার্ডে খন্দকার নুরুজ্জামান, ১০ নং ওয়ার্ডে আয়েশা আক্তার, ১১ নং ওয়ার্ডে সালমা খাতুন, ১২ নং ওয়ার্ডে রিনা আক্তার, ১৩ নং ওয়ার্ডে শিরিন আক্তার, ১৪ নং ওয়ার্ডে হোসনে আরা সিদ্দিক, ১৫ নং ওয়ার্ডে সাহেরা আক্তার মৌসুমী, ১৬ নং ওয়ার্ডে হাসিনা মমতাজ, ১৭ নং ওয়ার্ডে নাসরিন আক্তার, ১৮ নং ওয়ার্ডে কেয়া শারমিন ও ১৯ নং ওয়ার্ডে রাখি সরকার। | 1,102 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ আগস্ট ২০১৬, ০৩:৪১ | ২৪ আগস্ট ২০১৬, ০৩:৪৪ | নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | লালপুরে পদ্মায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি, একজনের লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/956155 | নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মা নদীতে একটি ইঞ্জিনচালিত খেয়া নৌকা ডুবে গেছে। অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ছয় থেকে সাত যাত্রী নিখোঁজ হন। পরে তাদের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নাটোর ও রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযানে ব্যস্ত ছিলেন। ওই খেয়া নৌকার যাত্রী লালপুরের মহরকয়া গ্রামের বাবর মালিথা বলেন, তিনিসহ শতাধিক যাত্রী সকাল সাতটার দিকে বিলমাড়িয়া ঘাট থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খেয়া নৌকাটি নিয়ে পদ্মার ওপারে যাচ্ছিলেন। ঘাট ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই নৌকাটি ডুবে যায়। তিনিসহ অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হন। তবে নৌকার যাত্রী উপজেলার চক বাদকয়া গ্রামের চাঁদের আলী (৫৫), জামাল উদ্দিন (৪৮), মহরকয়া গ্রামের মোহাম্মাদ তালুকদারের ছেলে ভাসান আলী (৩০) সহ (২৫) একই গ্রামের আরজেদ (৪৩) ও বেলাল হোসেন (৪৫) তীরে উঠতে পারেননি। রাত ১০টা পর্যন্ত তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওই নৌকার অপর যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, নৌকার অধিকাংশ যাত্রী নদীর ওপারে পলাশীর চরে কৃষিকাজ করতে ও মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। তিনি আরও জানান, মহরকয়া গ্রামের ইউছুফ আলীর মালিকানাধীন ওই খেয়া নৌকাটির ধারণক্ষমতা ৫০ থেকে ৬০ জন হলেও দুর্ঘটনার সময় সেটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ যাত্রী থাকায় নৌকাটি ডুবে যায় বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে নৌকাডুবির খবর পাওয়ামাত্র লালপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, উপজেলা পরিষদের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুর আলম ও লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দুপুর পর্যন্ত তাঁরা সেখানে উপস্থিত থেকে উদ্ধার অভিযান তদারক করেন। উদ্ধার অভিযানে লালপুর ও রাজশাহী ফায়ার সর্ভিসের ১৬ জন কর্মী অংশ নিয়েছেন।রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ও ডুবুরি দলের প্রধান ওমর ফারুক মুঠোফোনে গতকাল রাতে এই প্রতিনিধিকে বলেন, রাতে নিখোঁজদের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম বেলাল হোসেন (৩০)। তিনি লালপুরের মহরকয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে রাত ১০টাতেও চলছিল। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুর আলম বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে জোর তৎপরতা চলছে। নদীতে পানি বেশি থাকায় তাঁদের খুঁজে পেতে দেরি হচ্ছে। | 252,808 |
ফরিদপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৭ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৮ | বিশাল বাংলা | 0 | ছাত্রলীগ নেতা তুহিনকে অব্যাহতি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1035273 | রাজধানীতে ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার তুহিন খানকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গত সোমবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনবিরোধী অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় তুহিন খানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, তুহিন খানের বিরুদ্ধে সোমবার সকালে ঢাকার পল্লবী থানা এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁকে (তুহিন খান) অব্যাহতি দেওয়া হয়। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রশাসনিক তদন্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তুহিন খান ২০১৪ সাল থেকে জেলা ছাত্রলীগের অনুমোদন নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত সোমবার ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে একটি ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের অভিযোগে তুহিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। | 272,129 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৪ নভেম্বর ২০১৬, ০১:০২ | ১৪ নভেম্বর ২০১৬, ০১:০৪ | বাণিজ্য | 0 | ডিসেম্বরে কলকাতা পথে নভোএয়ারের উড্ডয়ন শুরু | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1020221 | আন্তর্জাতিক পথে নতুন আরেকটি গন্তব্যে উড্ডয়নের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার। সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের পর এবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কলকাতার পথে বিমান উড্ডয়ন শুরু করা হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে কলকাতা এবং ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কলকাতার পথে উড়তে শুরু করবে সংস্থাটির বিমান।রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গতকাল রোববার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির পরিচালক হাসিবুর রশীদ এবং অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও ভ্রমণবিষয়ক সাময়িকী মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা পথে সপ্তাহে চার দিন এবং চট্টগ্রাম-কলকাতা-চট্টগ্রাম পথে তিন দিন বিমান পরিচালনা করা হবে। প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র ও রোববার বেলা ২টা ২৫ মিনিটে ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করবে। কলকাতা থেকে ফিরতি যাত্রার সময় বিকেল ৪টা। চট্টগ্রাম-কলকাতা-চট্টগ্রাম পথে চলবে সোম, বুধ ও শনিবার।সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, নতুন গন্তব্যে যাত্রা উপলক্ষে শুরুতে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা পথে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। চট্টগ্রাম-কলকাতা-চট্টগ্রাম পথে এ ভাড়া হবে ১১ হাজার ৫৫৫ টাকা। সংস্থাটি বলছে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে সপ্তাহের সাত দিনই কলকাতা পথে বিমান পরিচালনা করা হবে।নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক পথে নতুন গন্তব্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংস্থাটি সুচিন্তিতভাবে ধীরে চলো নীতিতে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক পথে অনেক বড় বড় প্রতিযোগী রয়েছে। তাই নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে আন্তর্জাতিক পথে নতুন গন্তব্য নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।মফিজুর রহমান আরও জানান, কলকাতা পথে বিমান চালু করতে গিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়েছে। কারণ কিছু জটিলতা দেখে দেয়, যা পরবর্তী সময়ে আইনগতভাবে সমাধান করতে হয়।অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, দেশীয় বেসরকারি বিমান সংস্থা হিসেবে যেকোনো গন্তব্যে যাত্রা শুরুর আগে সেটির ব্যবসায়িক ও প্রতিযোগিতার দিকটি খতিয়ে দেখা দরকার। তা না হলে মাঝপথে গিয়ে ব্যবসায়িকভাবে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এ খাতে দ্রুত ব্যবসা প্রসারের সুযোগ কম। অতীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া দ্রুত ব্যবসা ও গন্তব্যের প্রসার ঘটাতে গিয়ে দেশীয় অনেক বিমান সংস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নেপালের কাঠমান্ডু গন্তব্যে নভোএয়ারের উড্ডয়ন শুরু প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগির এ পথেও উড্ডয়ন শুরু করা হবে।২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি অভ্যন্তরীণ পথে উড্ডয়নের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে নভোএয়ার। এরপর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ইয়াঙ্গুন দিয়ে শুরু হয় আন্তর্জাতিক পথের যাত্রা। | 265,263 |
প্রতিনিধি, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ মে ২০১৮, ১৯:২৯ | ২২ মে ২০১৮, ১৯:৩২ | অপরাধ,খাগড়াছড়ি | 0 | দীঘিনালায় ইউপিডিএফের সাবেক সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1494276 | খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আজ উজ্জ্বল কান্তি চাকমা (৫৫) নামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সাবেক সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার দুর্গম রাখাল মহাজন পাড়ার মৃত গৌতম বুজ্জি চাকমার ছেলে। ইউপিডিএফ হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষকে দায়ী করেছে। তবে জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষ দাবি করেছে, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।৩ মে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত মহন রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা। পরদিন তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাওয়ার সময় নিহত হন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ পাঁচজন। ইউপিডিএফের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত নয়টায় মেরুং ইউনিয়নের রাখাল চন্দ্র মহাজন পাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে উজ্জ্বল কান্তি চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার রাখাল মহাজন পাড়া এলাকার রাস্তার পাশে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে চলে যায়। ইউনাইটে পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘উজ্জ্বল কান্তি চাকমা আমাদের সংগঠনের সাবেক সদস্য। এক বছর আগে সে বয়সের কারণে দল থেকে অবসর নিয়ে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২১ মে রাতে তাঁকে নিজ বাসা থেকে জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষের লোকজন ডেকে নিয়ে তাঁকে হত্যা করে ফেলে যায়।’জনসংহতি সমিতির (জেএসএস, এমএন লারমা) পক্ষের কেন্দ্রীয় সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা ইউপিডিএফের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট উল্লেখ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং আমরা এ ঘটনা সম্পর্কে অবগতও নই। ওরা (ইউপিডিএফ) নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের সংগঠনের ওপর মিথ্যা দায় চাপাচ্ছে।’দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দীন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগও করতে আসেনি।’ | 364,678 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৮:৪৬ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৯:০৫ | রাজনীতি | null | রওশনের বাসায় তোফায়েল-গওহর রিজভী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/97990 | জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদের গুলশানের বাসায় গেছেন শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা গওহর রিজভী। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তাঁরা রওশন এরশাদের বাসায় যান।এদিকে রওশন এরশাদ দলের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। যখন তোফায়েল আহমেদ ও গওহর রিজভী রওশন এরশাদের বাসায় যান, তখন সেখানে আগেই থেকেই ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।জাপার নির্বাচনী প্রতীক ‘লাঙ্গল’ অন্য কাউকে বরাদ্দ না দিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি দেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ‘আটক’ হন এইচ এম এরশাদ। তিনি এখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ‘চিকিত্সাধীন’। এরপর সকাল থেকেই দলের নেতারা রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। | 35,282 |
-1 | sports | খেলা | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৫ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | পরাজয় এনরিকের কাছে সুযোগ! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/826465 | উড়তে থাকা বিমানটা হঠাৎ করেই যেন মাটিতে নেমে এল। যে দলটা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থেকে উড়ছিল, তারাই লা লিগায় পর পর দুই ম্যাচ হেরে এখন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। পরশু রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে ১-০ গোলের হারের পর এখন অনেক প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হচ্ছে বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকেকে।সোসিয়েদাদ জয়টা তো ধরতে গেলে একরকম বলে-কয়েই পেয়েছে। গত ৯ বছর সোসিয়েদাদের মাঠ অ্যানয়েতায় একটা ম্যাচও জিততে পারেনি বার্সেলোনা। ম্যাচ শুরুর আগে সেটা নিয়েই ছিল তুমুল আলোচনা। সেই ‘জুজুতে’ আচ্ছন্ন হয়েই বোধ হয় এদিন ৫ মিনিটের মধ্যে গোল খেয়ে বসল বার্সেলোনা। বাকি সময়টা চেষ্টা করেও সেই গোল আর শোধ করতে পারল না।লা লিগার ম্যাড়মেড়ে শিরোপা লড়াইটা এতে হঠাৎ করেই উন্মুক্ত হয়ে পড়ল। এটি এখন ত্রিমুখী। দুইয়ে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এখন বার্সেলোনার চেয়ে পিছিয়ে ৩ পয়েন্টে। আর রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান ৪ পয়েন্ট। ম্যাচ বাকি ছয়টি। এখনো লাগাম বার্সার হাতেই আছে, কিন্তু একটা ম্যাচ হেরে গেলেই সেটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।এনরিকে নিজের ঘাড়েও কিছুটা দোষ নিতে পারেন। নিষেধাজ্ঞার জন্য সুয়ারেজ ছিলেন না। ইনিয়েস্তা, রাকিটিচ, আলবাদেরও বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন এনরিকে। পরে অবশ্য ইনিয়েস্তা, আলবাদের নামাতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু কাজ আর হয়নি, ম্যাচের লাগাম যে ততক্ষণে হাতছাড়া হয়ে গেছে। তবে বার্সা কোচ এখনই ঘাবড়ে যাওয়ার মতো কিছু দেখছেন না। বরং এটিকে নিজেদের চেনানোর একটা উপলক্ষ হিসেবে দেখছেন, ‘আমরা কখনোই বলিনি লিগ শেষ হয়ে গেছে। আমরা যে বিশ্বের সেরা দল, সেটা চেনানোর দুর্দান্ত এক সুযোগ এটা। এখন লিগটা অনেক রোমাঞ্চকর। তবে এ মুহূর্তে কিন্তু আমরাই শীর্ষে।’এনরিকে অবশ্য আশাবাদী হতে পারেন, লা লিগার এই সংস্করণে ছয় ম্যাচ হাতে রেখে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে কোনো দল লিগ খোয়ায়নি। গত বছর তো এই পর্যায়ে বার্সেলোনা এগিয়ে ছিল ২ পয়েন্টে। এনরিকে সেটাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘আমরা এখান থেকে কেঁদে তো যাচ্ছি না। গতবার এই পর্যায়ে আমরা দুইয়ে থাকা দলের চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলাম। হেড টু হেড ব্যবধানও কম ছিল।’তবে বার্সার এমনিতেও এই হার নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে থাকার সুযোগ নেই। আগামী বুধবারই চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল দ্বিতীয় লেগ। এনরিকের চোখ সেখানেই, ‘আমরা তো মানুষ, মেশিন নই। আজ আমাদের দিনটা ভালো যায়নি। তবে এখন আমাদের জন্য অপয়া এই স্টেডিয়াম ছেড়ে বুধবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের কথা ভাবতে হবে।’ এএফপি, রয়টার্স। | 219,235 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ১৩ এপ্রিল ২০১৪, ১০:২৮ | ১৩ এপ্রিল ২০১৪, ১০:৩১ | ভারত | null | নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয় লাঞ্ছিত | http://www.prothom-alo.com/international/article/191722 | ভারতের লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারে বেরিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি আসানসোল আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী। বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরা তাঁকে লাঞ্ছিত করেছেন।গতকাল শনিবার আসানসোলের রানীগঞ্জে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীও আহত হয়েছেন।বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরা দলটির নেতা-কর্মীদের মারধর করে। এ ঘটনা শুনে নেতা-কর্মীদের উদ্ধারে বাবুল সুপ্রিয় ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকেও লাঞ্ছিত করে তৃণমূল সমর্থকেরা। প্রতিবাদে বিজেপির সমর্থকেরা রানীগঞ্জের নেতাজি সুভাষ রোড অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।এদিকে বাবুল সুপ্রিয়কে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল-সমর্থকদের পুলিশ আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়। | 65,473 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১১ | ২৪ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৩৭ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | বিএনপির ১৮ জন নেতা–কর্মীকে আটকের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/511375 | রাজধানীর তেজতুরী বাজার ও কুনিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির ১৮ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।গতকাল রাত ১০টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে দলটির নেতা-কর্মীদের আটক করার তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের পূর্ব তেজতুরী বাজারের বাসায় গতকাল অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। এর মধ্যে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ এস এম নাসিরউদ্দিন রয়েছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বক্করকেও গতকাল সকালে তেজগাঁও কুনিপাড়া থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রূপনগর এলাকায় বিএনপির নেতা আবুল বাশার, যুবদল নেতা সোহেলকে পুলিশের সহায়তায় পল্লবী থানার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুজন নেতার নেতৃত্বে মারধর করা হয়। তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এ ধরনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।রাত ১২টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতা আবু বক্করকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে কি না, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এ ছাড়া তাঁরা অন্য কাউকে আটক করেননি।রাত ১২টার পর যোগাযোগ করা হলে তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, তাঁরা বিএনপির নেতা আনোয়ারুজ্জামানের বাসায় অভিযান চালাননি কিংবা কাউকে আটকও করেননি। | 133,773 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০২ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০২ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | এ ই ন গ রে - দূ র গ্রা মে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/131632 | চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের সভাচট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের সভা ১৬ জানুয়ারি ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ক্লাব সভানেত্রী জিনাত আজম। সভায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া সভায় কেক কেটে সাহিত্যিক ফাহিমদা আমিনের ৭৭তম জন্মদিন উদ্যাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদা আউয়াল, পারভিন জালাল, বোরহানা কবির, পারভিন চৌধুরী, গুলনাহার শহীদ প্রমুখ। হিসাববিজ্ঞান সমিতির সভাচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাববিজ্ঞান সমিতির সভা ১৮ জানুয়ারি পাঁচলাইশের সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সুলতান আহমেদ। বক্তব্য দেন সম্পাদক মোক্তার আহমদ, অমৃত লাল দে, গণপতি ভৌমিক, মিজানুর রহমান, তপন কান্তি দাশ, মো. শাহজাহান, মো. জসীমউদ্দিন, ফখরুদ্দিন, মো. বেলাল প্রমুখ।সভায় পারিবারিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি। যুব রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে অগ্নিদুর্গত লোকজনের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণযুব রেড ক্রিসেন্ট, সরকারি কমার্স কলেজ ইউনিট ১৮ জানুয়ারি পাথরঘাটা সিএনবি কলোনির অগ্নিদুর্গত পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ রওশন আরা বেগম, উপাধ্যক্ষ মো. আইয়ুব ভূঁইয়া, কলেজের অধ্যাপক মো. কামাল হোসাইন, যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের সাংগঠনিক উপপ্রধান রাজীব দে, রক্ত বিভাগের প্রধান জিয়াউল কবির, মুক্তদল সদস্য পৃথ্বিরাজ প্রমুখ।সংগঠনের সদস্যরা ২২০টি অগ্নিদুর্গত পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৭০ বস্তা শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি। নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে মহিলা পরিষদের আলোচনা সভাবাংলাদেশ মহিলা পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনা সভা ১৭ জানুয়ারি বিকেল চারটায় দোস্তবিল্ডিং জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি লতিফা কবির।বক্তব্য দেন জেলা কমিটির আন্দোলন সম্পাদক জেচিন্তা ডায়েস, শিক্ষক নেতা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সুগতা বড়ুয়া, শেলী দে, সুলেখা পাল, পূর্বা দাশ, স্বাতী পাল ও মৃণালিনী চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন শিরিন আক্তার।সভায় বক্তারা বলেন, নারীদের শিক্ষা ও আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে শক্তিশালী নারী আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞপ্তি। ফটিকছড়ি সমপ্রযুগ পাঠাগারের সভাফটিকছড়ির ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সমপ্রযুগ (সমমনা প্রগতিশীল যুব গোষ্ঠী) পাঠাগারের উদ্যোগে সংগঠনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল আলমের সংবর্ধনা ১৭ জানুয়ারি আজাদী বাজারের সমপ্রযুগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য দেন মো. শাহজাহান চৌধুরী, ডা. খোরশেদুল আলম, মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, আবদুস ছালাম, শফিউল আজম চৌধুরী, এসএম বশির, এম আইয়ুব আলী, ডা. দিদারুল আলম, শাহাবুদ্দিন, রিয়াদ উদ্দিন, চৌধুরী রায়হান মাহমুদ, লোকমান হাকিম, সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। ফেনীতে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণফেনীতে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড পাঁচগাছিয়া বাজার শাখার উদ্যোগে ১৬ জানুয়ারি ব্যাংক ভবনের সামনে ২০০ দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় শাখা ব্যবস্থাপক মো. নিজাম উদ্দিন, স্থানীয় পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে একই দিন এনসিসি ব্যাংক ছাগলনাইয়া শাখার উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী কাজী শহীদুল ইসলাম, ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সফিউদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ। —নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী সৈয়দ নুরুল বখতেয়ার শাহের খোশরোজ সম্পন্নশাহ সুফি সৈয়দ নুরুল বখতেয়ার শাহ মাইজভান্ডারির খোশরোজ ১৬ জানুয়ারি ফটিকছড়ির বক্তপুর ভান্ডার শরিফে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, খাজেগান, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, মাইজভান্ডারি ছেমা ও কাওয়ালি মাহফিল।বক্তপুর ভান্ডার শরিফ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সৈয়দ জাবের সরোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বক্তপুর ভান্ডার শরিফের শাহজাদা সৈয়দ নুরুল আতাহার। বিশেষ অতিথি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন মাওলানা ইকবাল ইউসুফ, কাজী মুহাম্মদ ইউসুফ, লোকমান ফকির, অধ্যাপক বদরুন্নেছা, আবু ছালেহ, সৈয়দ শাহজাহান, আমান উল্লাহ, সৈয়দ মোহাম্মদ কাইয়ুম, এসএম আবদুল ফয়েজ, ইকবালুর রহমান, শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন, মাওলানা মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, নুর খালেদ প্রমুখ। এরপর মাইজভান্ডারি ছেমা ও কাওয়ালি পরিবেশন করেন মরমিশিল্পী মো. নাসিরউদ্দিন।বিজ্ঞপ্তি। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনসমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রসমাবেশ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রফ্রন্ট নগর শাখার সভাপতি আল কাদেরীর সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক আসিফ খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রাজীব নন্দী, ছাত্রফ্রন্ট নেতা মো. রায়হান ও কার্তিক নাথ।সমাবেশ সঞ্চালনা করেন পার্থ নন্দী। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের বড় দুই দলের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের বলি হচ্ছে শত শত মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে শাসক শ্রেণী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করায় মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে দেশের বেশির ভাগ সম্পদ কুক্ষিগত হয়েছে। সমাবেশ শেষে ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিজ্ঞপ্তি। জাতীয় অধ্যাপক নুরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালিতবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলামের প্রথম মুত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গত শুক্রবার সকালে ইউএসটিসি ভবনসংলগ্ন প্রয়াতের কবর জিয়ারত, খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন হূদেরাগ বিশেষজ্ঞ হাসিনা বানু, ইউএসটিসির উপ-উপাচার্য নুরুল আবছার, জনসেবা ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব ডা. নীনা ইসলাম, বিবিএমএইচ এর মহাপরিচালক মো. শওকত আলী, ইউএসটিসির রেজিস্ট্রার সামস উদ দোহা, ডা. কাজী রফিকুল হক. মাহমুদুল হক চৌধুরী, এস এম মোস্তফা কামাল, ফয়েজ আহমদ খান, আব্দুল ওয়াহিদ আল মামুন, বদিউল আলম, কিশোর মজুমদার প্রমুখ। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি। অগ্নিদুর্গত ও শীতার্তদের পাশে আল-আমিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষনগরের এ কে খান মোড় এলাকার আল-আমিন হাসপাতাল লিমিটেডের পক্ষ থেকে সম্প্রতি অগ্নিদুর্গত ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।হাসপাতালের কর্মকর্তারা ২২ জানুয়ারি নগরের ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বাড়িঘর পরিদর্শন করে ত্রাণসামগ্রী ও রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ চৌধুরী, চিকিৎসাসেবা পরিচালক মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক হাশেম আলী মিয়া প্রমুখ। এ ছাড়া কে এ কে খান মোড় এলাকায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি। স্মাইল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণস্মাইল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জালালাবাদ ওয়ার্ডে শীতার্ত মানুষের মধ্যে সম্প্রতি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলী আকবর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্মাইল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দা কাশপিয়া নাহরিন। প্রধান বক্তা ছিলেন সমাজসেবক আবুল কাসেম। বক্তব্য দেন সৈয়দ আবু আজম, মো. নাসের, মো. আনোয়ার, মো. বাদশা মিয়া, মো. নাসির, মো. আব্দুর রহমান, সাইফুদ্দীন সাইফ, মো. কফিল উদ্দীন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। রাঙ্গুনিয়ায় হাম-রুবেলা টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা২১তম জাতীয় টিকা দিবস ও হাম-রুবেলা টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু তৈয়ব। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মজুমদার।বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোজাহেরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক প্রমতোষ বড়ুয়া প্রমুখ। ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা দেওয়ার ব্যাপারে সভায় উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অবহিত করা হয়। এতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩০ জন প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।—রাঙ্গুনিয়া সংবাদদাতা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভারত সরকারের বৃত্তিভারত সরকার চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের ১৪৮ সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছে। গত শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষাবৃত্তির চেক তুলে দেওয়া হয়।চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বক্তব্য দেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ ঘোষ।ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই। কেউ চাইলেও ষড়যন্ত্র করে দেশকে পিছিয়ে নিতে পারবে না।সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার সোমনাথ ঘোষ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের কৃতী সন্তান। তাঁদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের সম্মান জানানো হলো।চট্টগ্রাম বিভাগের বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৪৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৬৭ জনের প্রত্যেককে প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা এবং এইচএসসি পর্যায়ের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে।এ বছর চট্টগ্রামসহ সারা দেশে এক হাজার ৩৬৪ জনকে এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। -নিজস্ব প্রতিবেদক | 46,644 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৭:২৫ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:০২ | ফুটবল | null | লা লিগার ‘লাল রাজা’ রামোস! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1378736 | অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে নাকের হাড় ভেঙে নিয়েছিলেন দুই সপ্তাহ আগে। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে তাই দেখা গেল ‘নতুন’ সার্জিও রামোসকে—মুখে কালো রঙের মুখোশ। হয়তো সাবধান থাকতেই পরেছিলেন। সেই মুখোশের আড়াল থেকে যথারীতি ‘আসল’ রামোস বেরিয়ে এসেছেন নির্ধারিত সময়ের ৪ মিনিট আগে। বিলবাও স্ট্রাইকার আরতিজ আদুরিজকে কনুই মেরে দেখেছেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড; মানে, লাল কার্ড! রিয়ালও জিততে পারেনি, গোলশূন্য ড্র করেছে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সঙ্গে।তার আগে রাউল গার্সিয়াকে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। তখন থেকেই ক্ষণগণনার শুরু। লা লিগায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লাল কার্ড দেখার রেকর্ডটা একার করে নিতে পারবেন তো রামোস! শেষ পর্যন্ত ৮৬ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড রামোসকে এনে দেয় সেই লজ্জার রেকর্ড—লা লিগায় সর্বোচ্চ ১৯ বার লাল কার্ড দেখা একমাত্র খেলোয়াড়!স্প্যানিশ ডিফেন্ডারটি তাই এখন শুধু রিয়াল রক্ষণভাগের অতন্দ্রপ্রহরীই নয়, সঙ্গে লা লিগায় লাল কার্ডেরও ‘রাজা’। স্পেনের শীর্ষস্থানীয় লিগে তাঁর মতো এত লাল কার্ড দেখেনি আর কোনো ফুটবলার! বিলবাওয়ের বিপক্ষে রেফারির ‘মার্চিং অর্ডার’ পাওয়ার আগে রামোস সর্বশেষ লাল কার্ড দেখেছিলেন গত আগস্টে।দেপোর্তিভো লা করুণার বিপক্ষে সেই ম্যাচে লা লিগা ক্যারিয়ারের ১৮তম লাল কার্ড দেখেছিলেন রিয়াল তারকা। তখন পাবলো আলফারো আর জাভি আগুয়াদোর সঙ্গে লা লিগায় সর্বোচ্চ লাল কার্ড দেখার রেকর্ডটা ভাগাভাগি করেছিলেন। বিলবাওয়ের মাঠে লজ্জার সেই রেকর্ডটা নিজের করে নিতে রামোসের সময় লাগল মোটে চার মাস।রিয়ালের জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৪টি লাল কার্ড দেখেছেন রামোস। মজার ব্যাপার হলো, ক্লাবটির হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লাল কার্ড দেখা খেলোয়াড়টিও মাঠের পজিশনে রামোসের মতোই ডিফেন্ডার এবং সাবেক অধিনায়ক। তিনি ফার্নান্দো হিয়েরো (১২ বার)। অর্থাৎ রিয়ালের সাবেক অধিনায়কের তুলনায় এরই মধ্যে দ্বিগুণ লাল কার্ড দেখেছেন রামোস।কিন্তু সবচেয়ে বেশি নয়। ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৬টি লাল কার্ড দেখেছেন কলম্বিয়ার সাবেক ডিফেন্ডার জেরার্দো বেদোয়া। তবে রামোস যে গতিতে ছুটছেন, অবসর নেওয়ার আগে হয়তো বেদোয়ার রেকর্ডকেও ধরে ফেলবেন! সূত্র: ইএসপিএন | 346,744 |
নীলাঞ্জনা দত্ত | education | শিক্ষা | ০২ জুলাই ২০১৭, ০০:৩৪ | ০২ জুলাই ২০১৭, ০০:৩৭ | শিক্ষাঙ্গন,স্বপ্ন নিয়ে | 0 | বন্ধুহীন বন্ধুতা | http://www.prothom-alo.com/education/article/1234846 | সেদিন প্রকৃতি সেজেছিল বিষণ্ন রূপে। বিষণ্নতার মধ্যেও অবশ্য একটি অদৃশ্য আনন্দের রুমঝুম সুর টের পাচ্ছিলাম। ক্যাম্পাসে কোনো বন্ধুর দেখা পেলাম না। বিষণ্ন আকাশ, মেঘবালিকার দল, চারপাশের চেনা গাছপালা, মখমলের মতো নরম ঘাস আর ঘাসের মধ্যে লাল পিঁপড়ের সারি—এগুলোই যেন বন্ধুর মতো আমাকে ঘিরে ছিল। হঠাৎই একটি কোমল কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। ‘আফা, দুইডা ট্যাহা দেবেন?’ তাকিয়ে দেখি একটা পাঁচ-ছয় বছরের শিশু। হাত বাড়িয়ে বড্ড অসহায় দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে। বুকের মধ্যে কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠল। এই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির দিনে যে বাচ্চাটার মায়ের কোলে চুপটি করে ঘুমিয়ে থাকার কথা, সে-ই কিনা ঘর ছেড়ে বেরিয়েছে ক্ষুধার তাগিদে। আমি কিছু বললাম না। শুধু বোকার মতো ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম। মুখ খোলার পর যে প্রশ্নটা করলাম, সেটাও বোকার মতোই হলো। ‘তুমি পড়াশোনা করো না?’ শুনে বাচ্চাটা হাসল। সেই হাসি আমার চোখে উপহাসের মতো ঠেকল। হেসে সে বলল, ‘আফা, প্যাডে খাওন নাই আর হাম্মে লেহাপড়ার কতা কন!’ আমি একদম চুপ মেরে গেলাম। যে বয়সে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা, পড়াশোনায় মত্ত থাকে, সেই বয়সেই এ বাচ্চাটি জীবনের কঠিন সত্যটা বুঝে ফেলেছে। আমি বললাম, ‘তুমি আমার কাছে পড়বে?’ শুনে সে শুধু হাসল। এমন নিষ্পাপ সম্মতির হাসি বোধ হয় আর দেখিনি। আমিও ঝটপট খাতা-কলম বের করে ওকে অক্ষরজ্ঞান দিতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে অ, আ শিখে ফেলল। মুখে মুখে শিখে নিল একটি ছড়াও। ক্ষণিকের জন্য হলেও ও যেন সম্পূর্ণ অন্য জগতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু খানিক বাদে আবারও ওর মুখে মেঘের ছায়া। বলল, ‘আফা, কাইল রাইত তন কিচ্ছু খাই নাই। দুইডা ট্যাহা দেবেন?’ নিজেকেই বড্ড অপরাধী মনে হলো। আমি আমার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু পারলাম তাই দিয়ে ওকে খাবার কিনে দিলাম। খাবার পেয়ে সে কী খুশি! কৃতজ্ঞতামাখা দৃষ্টিতে বিদায় নিল সে। একটা অপরিচিত শিশুকে অক্ষরজ্ঞান দেওয়া আর তার সঙ্গে খানিকটা সময় কাটানোর মধ্যে যে এত আনন্দ, সেটা আমি আগে কখনো বুঝিনি। লেখক: তৃতীয় বর্ষ, ইংরেজি বিভাগ, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল | 323,757 |
শেরপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুন ২০১৫, ০২:১৩ | ২৩ জুন ২০১৫, ০২:১৩ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | null | ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/560394 | শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বাদশাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। টিআরের গম আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে তাঁর নাম থাকায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।আমিনুল শেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব লুৎফুন নাহারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গত রোববার এ আদেশ জারি করা হয়। অপর এক আদেশে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ ও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী অমিনুল ইসলামকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচির (টিআর) আওতায় ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১০০ দশমিক ২০৯ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ উপজেলার অধীনে নয়টি ইউনিয়ন আছে। অভিযোগ ওঠে, আমিনুল ইসলামের যোগসাজশে সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গম আত্মসাৎ করেছেন। ভুয়া কাজ দেখিয়ে বরাদ্দকৃত গমের মধ্যে ৬৭ দশমিক ২০৯ মেট্রিক টন গম সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়। পরে তা কালোবাজারে বিক্রি করে প্রায় ১৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়।এ অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে আমিনুল ইসলামসহ সাত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করা হয়। দুদকের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, তিনি এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি এবং বিষয়টি জানেন না। | 147,238 |
কূটনৈতিক প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ মে ২০১৫, ০২:০৩ | ২৪ মে ২০১৫, ০২:০৪ | সরকার | 0 | চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী আজ আসছেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/535840 | চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ানডং তিন দিনের সফরে আজ রোববার ঢাকায় আসছেন। এ বছর ঢাকা-বেইজিং কূটনীতিক সম্পর্কের চার দশক পূর্তি। আগামী সেপ্টেম্বরে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিকিয়াংয়ের আসন্ন সফরের আগে লিউ ইয়ানডংয়ের সফরটিকে ঢাকার কর্মকর্তারা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী তিন দিনের সফরের সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। লিউ ইয়ানডং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুশিয়াস ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।চীনের উপপ্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। | 141,515 |
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৩ | ০৫ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৩ | লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম),চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা | 0 | বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/337696 | চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া মনু ফকির বাজারে গতকাল শনিবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. শাহেদুল ইসলাম (১৫) নামের এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি বড়হাতিয়ার কুমিরাঘোনা এলাকায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহেদুল একটি দোকানে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। | 98,962 |
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৯ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৪১ | টেকনাফ,কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | টেকনাফে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/744007 | যৌতুকের টাকা না পেয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বালুখালী গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে সালমা আক্তারের (২১) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত সালমা উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদারপাড়ার কবির আহমদের মেয়ে।কবির আহমদ বলেন, ২০১৪ সালে সালমার সঙ্গে বালুখালীর আলী আহমদ ওরফে কালা মিয়ার বিয়ে হয়। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে সালমাকে নির্যাতন ও মারধর করে আসছিল। তিনি দাবি করেন, নির্যাতন করে তাঁর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।অভিযোগের বিষয়ে জানতে আলী আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। | 193,721 |
মুহাম্মদ আলী, শিক্ষক, মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা | education | শিক্ষা | ১১ জুলাই ২০১৩, ০০:৩৭ | ১০ জুলাই ২০১৩, ২৩:৩৮ | পড়াশোনা | 0 | ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষারপড়াশোনা | http://www.prothom-alo.com/education/article/22162 | অধ্যায়-৫প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ হিসাববিজ্ঞানের ৫ম অধ্যায়ের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর ছাপা হলো।৩৮। লেনদেন লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিটি খাতের—জানা যায়।ক. নিট পরিমাণ খ. মোট পরিমাণগ. নিট লাভ ঘ. মোট লাভসঠিক উত্তর: ক. নিট পরিমাণ।৩৯। হিসাববিজ্ঞান বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনের জন্য—অনুসরণ করা হয়।ক. বিভিন্ন নিয়ম খ. বিভিন্ন রীতিগ. নির্দিষ্ট ছক ঘ. নির্দিষ্ট পদ্ধতিসঠিক উত্তর: গ. নির্দিষ্ট ছক।৪০। বিলের মাধ্যমে বিক্রয়, দেনাদার থেকে স্বীকৃতি লাভ, বিলের মাধ্যমে অর্থ আদায় ও বিল বাট্টাকরণ ও বিল প্রত্যাখ্যান করার কারণে কোন হিসাব লেখা হয়?ক. স্বীকৃত বিল খ. প্রাপ্য বিলগ. প্রদেয় বিল ঘ. বিল বাট্টাকরণসঠিক উত্তর: খ. প্রাপ্য বিল।৪১। ক্রয়কৃত পণ্য নির্দিষ্ট হিসাব বছর/হিসাবকাল শেষে অবিক্রীত থেকে গেলে তাকে কী বলে?ক. প্রারম্ভিক মজুদ খ. সমাপনী মজুদগ. গড় মজুদ ঘ. ক ও গসঠিক উত্তর: খ. সমাপনী মজুদ।৪২। প্রাপ্তি ও প্রদান এবং সুদ প্রাপ্য ও বকেয়া সকল ক্ষেত্রেই—হিসাব খুলতে হয়।ক. বাট্টা খ. কমিশন গ. চার্জ ঘ. সুদসঠিক উত্তর: ঘ. সুদ।৪৩। পাওনাদারের মৃত্যু, দেউলিয়া বা অন্য কোনো কারণে দেনাদারের নিকট থেকে অর্থ আদায় অসম্ভব হলে তা কোন হিসাবে লেখা হয়?ক. কুঋণ খ. কুঋণ সঞ্চিতি গ. বাট্টা ঘ. বাট্টা সঞ্চিতিসঠিক উত্তর: ক. কুঋণ।৪৪। কোনো হিসাবের বাঁ দিককে কী বলে?ক. বাম খ. বিপরীত গ. ডেবিট ঘ. ক্রেডিটসঠিক উত্তর: গ. ডেবিট।৪৫। চলমান জের ছক অনুসরণ করে হিসাবের উদ্বৃত্ত নির্ণয় করা হয়—ক. প্রতি সপ্তাহ শেষেখ. প্রতি মাস শেষেগ. প্রতিটি লেনদেন লিপিবদ্ধ হওয়ার পরঘ. প্রতিদিনের শেষেসঠিক উত্তর: গ. প্রতিটি লেনদেন লিপিবদ্ধ হওয়ার পর।৪৬। হিসাব সমীকরণ অনুযায়ী হিসাব—ক. ৩ প্রকার খ. ৪ প্রকার গ. ৫ প্রকার ঘ. ৬ প্রকারসঠিক উত্তর: গ. ৫ প্রকার।৪৭। সনাতন পদ্ধতিতে হিসাব কত প্রকার?ক. ৩ প্রকার খ. ৪ প্রকার গ. ৫ প্রকার ঘ. ৬ প্রকারসঠিক উত্তর: ক. ৩ প্রকার।৪৮। (T) টি ছকের বাঁ দিকে কয়টি ঘরক. ৩টি খ. ৪টি গ. ৫টি ঘ. ৬টিসঠিক উত্তর: খ. ৪টি।৪৯। সম্পত্তির অবচয়ের কারণক. ব্যবহারজনিত ক্ষয়ক্ষতিখ. সময় অতিবাহিত হওয়াগ. দুর্ঘটনা ঘ. সবগুলোসঠিক উত্তর: ক. ব্যবহারজনিত ক্ষয়ক্ষতি। | 1,896 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১১ জুলাই ২০১৬, ১৭:০৯ | ১১ জুলাই ২০১৬, ১৭:১৪ | বলিউড | 0 | ইমতিয়াজের ছবিতে কিং খান | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/911083 | একসঙ্গে কাজ করেননি—তাতে কী? কিং খানের কাছ থেকে সব ছবিরই পরামর্শ নিতেন তিনি। কিং খানও সৃজনশীল পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বন্ধুর মতো। শাহরুখ খান ও ইমতিয়াজ আলীর সম্পর্কটা এমনই। তবুও একসঙ্গে ছবি করা হয়নি বলিউডের এই দুই দিকপালের। এবার বুঝি সে খেদ মিটল কিং খান ভক্তদের। ইমতিয়াজের পরিচালনায় রূপালি পর্দায় আসছেন এসআরকে। ছবির নাম চূড়ান্ত না হলেও এটি যে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পের ছবি, তা নিশ্চিত করলেন স্বয়ং কিং খানই।শাহরুখ বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমি ইমতিয়াজকে চিনি। যখনই ও কোনো ছবি নির্মাণ করে, তখনই ছবির গল্প বলার জন্য বিস্ময়করভাবে ও আমার বাড়িতে ছুটে আসে। যদিও আমি ওর কোনো ছবিরই অংশ ছিলাম না। ও সব সময়ই আমার কাছে ওর ছবি নিয়ে একজন বন্ধুর মতো আলোচনা করেছে।’একদিনের ঘটনা। ‘রকস্টার’ পরিচালক ইমতিয়াজ আলী শাহরুখ খানের কাছে এসে বললেন, ‘স্যার, আপনার জন্য একটি ছবি তৈরি করব।’ কিং খান তাঁকে দিলেন একটি শর্ত। শাহরুখ বলেন, ‘আমি তাঁর কাছে একটি সুখকর ছবির কথা বললাম। এখন পর্যন্ত আমি এই ঘরানাতেই আছি। তাঁর কাছে একটি সুন্দর ভালোবাসার গল্প ছিল। তবে এটা তারুণ্যের উচ্ছ্বল ভালোবাসার গল্প নয়। ভালোবাসার আসল রূপ তুলে আনতে ইমতিয়াজের জুড়ি নেই।’শাহরুখ খান বর্তমানে তাঁর পরবর্তী ছবি রাহুল ধোলাকিয়া পরিচালিত ‘রইস’-এর মুক্তি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী বছর ২৬ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। ইমতিয়াজ আলীর ছবির নাম চূড়ান্ত না হলেও নায়িকা হিসেবে আনুশকা শর্মাকে নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।ইন্ডিয়াটুডে | 238,991 |
বিশাল বাংলা ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১৪ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১৪ | বিশাল বাংলা | 0 | বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষাশহীদদের স্মরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1086208 | দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাটোর শহরের কানাইখালী মাঠের শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেন। পরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়া শুরু হয়। নাটোর বন্ধুসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়া হয়। এ ছাড়া বন্ধুসভার পক্ষ থেকে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাবনা-৫ আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম, জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো ও পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ ছাড়া এবার প্রথমবারের মতো পাবনার শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। নওগাঁয় রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শপথবাক্য, প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান প্রমুখ। নওগাঁ সরকারি কেডি স্কুল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দুজন ভাষাসংগ্রামীকে একুশে পরিষদ নওগাঁর উদ্যোগে পদক দেওয়া হয়। ভাষাসংগ্রামী নকীবুল্লাহ প্রামাণিক (মরণোত্তর) ও আফজাল হোসেনকে (মরণোত্তর) পদক দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক আবেদ খান। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তির সোপানে পুষ্প অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। স্থানীয় সাংসদ হাবিবে মিল্লাত, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সন্ধ্যায় মুক্তির সোপান চত্বরে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাংসদ হাবিবে মিল্লাত, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাস প্রমুখ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শংকরবাটী-পোল্লাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালে বর্ণমেলা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক শফিকুল আলম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাসেম আলী ও নাসরিন খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন। বেলা ১১টায় বগুড়ার শেরপুর শালফা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কলেজের প্রভাষক আবদুল মজিদ, আবদুল বাছেদ প্রমুখ।‘শুদ্ধ ভাষায় কথা বলি, শুদ্ধ ভাষার চর্চা করি’—এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় পঞ্চমবারের মতো ভাষা প্রতিযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রায়গঞ্জ পৌরসভার ইউনিভার্স একাডেমিতে এ প্রতিযোগ হয়। প্রতিযোগের উদ্বোধন করেন বিজয় কুমার সাহা। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠ চত্বরে শহীদ মিনারের পাদদেশে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ইউএনও শাহেদ পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পৌর মেয়র বেলাল হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মজিদ প্রমুখ। বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে শহরে শোভাযাত্রা বের করা হয়। বেলা ১১টায় বন্ধুসভার উদ্যোগে সান্তাহার স্বাধীনতা চত্বরে চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর সদরের হাস্তাবসন্তপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৩০টি পরিবারের চার শতাধিক সদস্যকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। ইউএনও আফরোজা আখতার এই শিবিরের উদ্বোধন করেন। | 296,021 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৫৪ | ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৫৭ | চলচ্চিত্র | 0 | ভারতেও ‘দেবী’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1549021 | আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দেবী’। ছবিটি প্রযোজনা করেছে জয়া আহসানের প্রতিষ্ঠান সি তে সিনেমা। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘মিসির আলি’ চরিত্রকে নিয়ে লেখা প্রথম উপন্যাস ‘দেবী’কে পর্দায় নিয়ে আসছেন পরিচালক অনম বিশ্বাস। এবার জানা গেছে, বাংলাদেশের পর ছবিটি ভারতেও মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তেমনই সম্ভাবনা আছে। দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা জয়া আহসান ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কলকাতায় দেখানোর চেষ্টা করব। আমার বিশ্বাস “দেবী”র দর্শক এখানে আরও বেশি।’‘দেবী’ ছবির প্রযোজক জয়া আহসান। ছবিতে তিনি অভিনয়ও করেছেন। উপন্যাসের ‘রানু’ চরিত্রে পর্দায় অভিনয় করেছেন তিনি। শুরুতেই প্রযোজক হিসেবে এমন একটি উপন্যাসকে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে বললেন, ‘ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল, আহা, এই ক্যারেক্টারটা যদি করা যায়। প্রযোজক হিসেবে আমার কিন্তু উচিত ছিল বাণিজ্যিক ছবি তৈরি করা, যা থেকে সহজেই টাকা উঠে আসবে। কিন্তু আমি যে জীবনটা বিশ্বাস করি, যে ছবির সঙ্গে থাকতে চেয়েছি, স্ট্রাগল করেছি, চেষ্টা করেছি সেই ধরনের কাজ করতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সরকারের কাছ থেকে সাপোর্ট পেয়েছি। কিন্তু টাকার কথা ভাবতে গিয়ে নিজের প্রোডাকশন হাউস থেকে এমন কোনো ছবি করতে চাইনি, যা আমি নিজেই বিশ্বাস করি না।’উপন্যাসের সঙ্গে পর্দার ‘দেবী’র কতটা মিল আছে? জয়া আহসান বলেন, ‘বইতে আছে নীল খামে চিঠি আসার কথা। তা দিয়ে সম্পর্কটা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক ছাড়া তা বোঝানো ঠিক হবে না। এ ধরনের কিছু পরিবর্তন রয়েছে। তবে মূল ভাবটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। আমার মিসির আলি হুবহু বইয়ের মতো নয়। একটু অন্য রকম। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য। চেষ্টা করেছি বইয়ের কাছাকাছি থাকতে।’‘দেবী’ ছবিতে মিসির আলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। এ ছাড়া ছবিতে রানু চরিত্রে জয়া আহসান, নিলু চরিত্রে শবনম ফারিয়া, আনিস চরিত্রে অনিমেষ আইচ আর এবং আহমেদ সাবেত চরিত্রে দেখা যাবে ইরেশ যাকেরকে।এদিকে ১০ আগস্ট কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসানের নতুন ছবি ‘ক্রিস ক্রস’। পাঁচটি মেয়ের গল্প নিয়ে এই ছবি। পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ‘মিস সেন’। এই চরিত্র নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘এখানে আমার স্টাইলটা অন্য রকম। আর মিস সেনকে অন্যভাবে প্রজেক্ট করেছি। যখন স্ক্রিপ্ট শুনেছিলাম, ছবির অন্য চরিত্রগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে। এমন চরিত্র আগে করিনি। অনেক গ্রে শেডস আছে। রাগ, ঘৃণা, সবই এক্সটিম।’‘ক্রিস ক্রস’ ছবিতে নিজের পোশাকের ব্যাপারে জয়া আহসান বললেন, ‘এটাই রিয়েল জয়ার কস্টিউম। আমাদের কস্টিউম করেছেন জয়ন্তী। তিনি খুব ভালো কাজ করেছেন। কিন্তু আমার খুব তাড়াহুড়ো ছিল। তখন আমার ওয়ার্ডরোবের সঙ্গে কিছু মিলে যায়। জয়ন্তীরও তা পছন্দ হয়। আমিও পরে নিলাম। ওগুলোই আসলে আমি।’ এরপর আগামী পূজার সময় মুক্তি পাবে সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’। এই ছবিতে ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত। জয়া বললেন, ‘এখানে আমি তাঁর বোন। গল্পের জন্য খুব প্রয়োজনীয় চরিত্র। বোনের কারণে অনেক কিছু ঘটে।’কলকাতায় জয়া আহসানের আরেকটি ছবি ‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’। পরিচালক অর্ণব পাল। | 372,913 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৩৭ | ২০ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৪০ | ঢাকা,ঢাকা বিভাগ,সিটি নির্বাচন,নির্বাচন | 0 | নির্মাণকাজ এখন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে: সাকি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/507409 | ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, যেকোনো নির্মাণকাজ এখন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকাবাসীর অর্থ দুর্নীতি, লুণ্ঠন, অপচয় আর চাঁদাবাজিতে খরচ হচ্ছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে বিদ্যমান সম্পদ দিয়েই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব।রাজধানীর ইস্কাটন এলাকায় গতকাল রোববার সকালে নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর সময় সাকি এসব কথা বলেন। তিনি দিনভর দিলু রোড, গাউসনগর, মগবাজার, নয়াটোলা, মধুবাগ, সোনালীবাগ, চৌধুরীপাড়া ও মালিবাগের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।সাকির গণসংযোগের সময় এসব এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন নাগরিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জোনায়েদ সাকি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে কোনো অবস্থাতেই নির্মাণকারীদের অবহেলায় জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। | 132,647 |
মাসুদ আলম | sports | খেলা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৪:০০ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৫ | খেলা,দেশের ফুটবল,বিদায় ২০১৬ - স্বাগত ২০১৭ | 0 | আনন্দ কম, লজ্জা বেশি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1047031 | আর মাত্র কয়েক দিন। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এল ২০১৬। খেলাধুলার জগতে কেমন গেল বছরটা? পেছনে ফিরে তাকালে উঠে আসবে হাসি-কান্না-প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কত উপাখ্যান! ধারাবাহিক বর্ষপরিক্রমায় আজ থাকছে ঘরোয়া ফুটবলকালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটি বছর। বিদায়ী বছরের জন্য অনেকেই হয়তো হাহাকার করবেন। ফিরে পেতে চাইবেন স্মরণীয় সব মুহূর্ত। বাংলাদেশের ফুটবলেও অনেক দাগ রেখে যাওয়া মুহূর্তও আছে ২০১৬ সালে। কোনটা মুছে কোনটা মনে রাখা উচিত?যদি আসে ছেলেদের ফুটবল প্রসঙ্গ, দ্রুতই তা ভুলে যেতে চাইবেন সবাই। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে ভুটানের সঙ্গে আগে কখনো হার ছিল না। ১১ সাক্ষাতে আট জয়। সেই ভুটান এবার দিয়েছে লজ্জা। ঢাকার মাঠ থেকে মাথা উঁচু করে ড্র নিয়ে গেছে একসময়ের পুঁচকে ভুটান। নিজেদের মাঠে এশিয়ান কাপের প্লে-অফে বাংলাদেশকে বীরদর্পে বলেকয়ে হারিয়ে দিয়েছে ৩-১ গোলে। ভুটান শুধু জেতেইনি, বাংলাদেশের ফুটবলে বিছিয়ে দিয়েছে অদৃশ্য এক শোকের চাদর।ওই একটা হার স্তব্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পথচলাও। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে উঠতে না পারা যদি হয় নগদ ক্ষতি, তাহলে আগামী তিন বছর ফিফা এএফসির ম্যাচ না পাওয়ার ক্ষতি আরও বড়। এর দায় যতটা অগোছালো আর এলোমেলো বাফুফের, পথহারা ফুটবলারদেরও দাঁড়াতে হবে কাঠগড়ায়।কী করেছেন ফুটবলাররা সেই খতিয়ান বই খোলা যাক। এ বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, এশিয়ান কাপের প্রাক-বাছাই আর প্রীতিসহ ১১টি ম্যাচের মাত্র একটিতে তাঁরা জয় শব্দটা চিনেছেন। বছরের প্রথম ম্যাচ ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওই জয় ৪-২ গোলে। এ ছাড়া সাতটি হার, তিন ড্র। গত বছর ৫ জয়, ১৩ হার, ৩ ড্র। ২০১৫ সালে ২৪ শতাংশ জয়। ২০১৬ সালে মাত্র ৯! জাতীয় দলের এই ব্যর্থতা ফুটবলের জন্য বছরটাকে করে তোলে বিস্মরণযোগ্য। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জর্ডানে গিয়ে ৮ গোল খাওয়া দিয়ে বড় বিপর্যয় শুরু। ২ জুন তাজিকিস্তানের কাছে ০-৫ ব্যবধানে হারের ক্ষত না শুকাতেই ১ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের কাছে প্রীতি ম্যাচে ০-৫ গোলে উড়ে যাওয়া! ১০ অক্টোবর ভুটান তো আরও অবাক করে দিয়েছে। তবে ফুটবলারদের হেলদোল কম। তাঁদের অনেকের আত্মনিবেদনের অভাব, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ক্লাব থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পেয়ে অনেকের মাথা ঘুরে যাওয়াও আজকের দুরবস্থার জন্য কম দায়ী নয়।এসএ গেমসে গিয়ে গতবারের সোনাটা বিসর্জন দিতে হয়েছে। চার ম্যাচে দুটি জয়। এক ড্র আর এক হার। ব্রোঞ্জ জিতে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কয়েকজন ফুটবলার ফেসবুকে ছবি আপলোড করে স্ট্যাটাস লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এটার জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি!’এসএ গেমসে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতেই খেলে। কিন্তু সময়ের স্রোত কোথায় টেনে এনেছে? ২০১৬ সালে ফুটবলাররা ব্রোঞ্জ জিতে উল্লাস করেন! অথচ একাডেমি গড়ে দ্রুত উঠে আসা নেপাল বাংলাদেশের নাকের ডগায় বছরের শুরুতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ জিতে গেছে। ওই টুর্নামেন্টে এবার বাংলাদেশ আটকে গেছে সেমির গেরোয়। তবে মেয়েরা মাথা উঁচু করে এগিয়েছে শুধুই সামনে। ওঁরা দেখিয়েছে বীরত্ব। এপ্রিলে তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিল আগের সাফল্যেরই ধারাবাহিকতা। আর ঘরের মাঠে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে হেসেখেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ উঠে যাবে চূড়ান্ত পর্বে, এতটা কেউ ভাবেনি!কিন্তু অনন্য উচ্চতায় পা রেখে মেয়েরা সত্যিই অবাক করে দিয়েছে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬–র চূড়ান্ত পর্বে ২০১৭ সালে তারা খেলবে চীন-জাপানের মতো এশিয়ার সেরা দলগুলোর সঙ্গে। বাছাইপর্বে কৃষ্ণারা ৫ ম্যাচে দিয়েছে ২৬ গোল। ১০ গোলে ভাসিয়ে দিয়েছে কিরগিজস্তানকে। ইরানকে ৩, সিঙ্গাপুরকে ৫ ও চীনা তাইপে ও আরব আমিরাতকে দিয়েছে ৪ গোল। তখন সবার মুখে ছিল রসিকতা, ছেলেরা ৫ গোল খায়, আর মেয়েরা ১০ গোল দেয়!ফুটবল ফেডারেশনের জন্য সময়টা তাই ছিল দুই রকম। কখনো আনন্দ, কখনো লজ্জার। ভুটান-বিপর্যয়ে বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজী সালাউদ্দিনের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। সভা-সেমিনারে সরগরম ছিল ফুটবল।এপ্রিলে বাফুফের নির্বাচনও কাঁপিয়ে দিয়েছে দেশের ফুটবলকে। নির্বাচনে কাদা-ছোড়াছুড়ি শালীনতার সব দেয়াল ভেঙে ফেলেছে। প্রবল বিরোধিতায় পড়েও টানা তৃতীয়বার বাফুফের কুর্সিতে বসা সালাউদ্দিন অবশ্য স্বস্তি পাননি। নানা অভিযোগের জবাব দিতে হয়েছে তাঁকে। বছর শেষান্তে সুখবর অবশ্যই, পরিকল্পনাহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে চার বছরের কর্মপরিকল্পনা পেশ করেছেন সালাউদ্দিন। তবে প্রিমিয়ার লিগটা এবার ঢাকার বাইরে অন্যভাবে আয়োজিত হলেও ঢাকায় যথারীতি দর্শক-খরা। দুই মৌসুম পর ফিরে এসেছে পাতানো খেলার অভিযোগও। ঢাকার বাইরের লিগগুলো যথারীতি স্থবির। ঢাকার তৃণমূলের একই দশা। সব ছাপিয়ে ভুটান-লজ্জার এমন বছর আর না এলেই ভালো! | 277,469 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫৫ | ০৯ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৩ | মোবাইল ফোন,ফাইভ জি নেটওয়ার্ক,অপো,স্মার্টফোন,তথ্যপ্রযুক্তি,প্রযুক্তি পণ্য | 0 | ৫–জি ফোনের ঘোষণা দিল অপো | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1580459 | চীনা মোবাইল ফোন নির্মাতা অপো যে এবারের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে চমক দেবে, তা আগেই ধারণা করা হয়েছিল। স্পেনের বার্সেলোনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৫–জি নেটওয়ার্ক সমর্থিত নতুন স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে স্মার্টফোনটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। তবে ফোনটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ চিপসেট থাকার কথা বলেছে।এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অপো ৫–জি ল্যান্ডিং প্রকল্প নামে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করার একটি প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে।অনুষ্ঠানে অপোর ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানি জিয়াং বলেছেন, অপোর প্রথম ৫–জি স্মার্টফোন এটি। ৫–জি ফোন আনতে অ্যানটেনার নকশা থেকে শুরু করে নানা বাধা পেরোতে হয়েছে।অনুষ্ঠানে কোয়ালকমের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ানো অ্যামন উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, অপোর প্রথম ৫–জি ফোনে কোয়ালকমের ৮৫৫ চিপসেট ও স্ন্যাপড্রাগন এক্স ৫০ মডেম থাকবে। ফোর–জি থেকে ফাইভ–জিতে রূপান্তরে অপো নেতৃত্বাস্থানীয় পর্যায়ে থাকবে।উল্লেখ্য, সম্প্রতি সানফ্রান্সিসকোতে এক অনুষ্ঠানে গ্যালাক্সি এস ১০ স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। এ ফোনের একটি সংস্করণ ৫–জি নেটওয়ার্ক সমর্থন করবে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ওই ফোন বাজারে ছাড়বে স্যামসাং। | 391,436 |
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ নভেম্বর ২০১৬, ০২:২৫ | ১১ নভেম্বর ২০১৬, ০২:২৬ | বাগমারা,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | বাগমারায় কলেজের নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতারণা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1018647 | রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার একটি আমবাগানে কয়েক দিন আগে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। তাতে লেখা ‘বীরকয়া মহিলা কারিগরি টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ’। স্থাপিত ২০০০ সালে। বাস্তবে এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। বাগানের কোথাও কোনো ঘরদোর নেই।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বীরকয়া গ্রামের ওই আমবাগানে সাইনবোর্ডটি রয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের কোথাও কলেজ ভবন নেই। সেখানে অতীতে কোনো ঘরদোর ছিল—এ রকমও কেউ বলতে পারেননি।স্থানীয় বাসুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, যেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাখা হয়েছে, সেখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ঘরদোর নেই। এ নামে এখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। এখনো নেই। এটা স্রেফ প্রতারণা।বীরকয়া গ্রামের ১৫-১৬ জন বাসিন্দা বলেন, কিছুদিন আগে একই গ্রামের আবু জাফর আল মুনসুর ওই সাইনবোর্ড টাঙান। তিনি নিজেকে ওই কলেজের অধ্যক্ষ বলে প্রচার করছেন।শিগগিরই কলেজটি নিবন্ধন হবে—এভাবে চাকরির প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, তাঁরা ইতিমধ্যে কিছু টাকাও দিয়েছেন। অল্পদিনের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া যাবে। পূর্ববর্তী তারিখ দেখিয়ে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।পীরগঞ্জ কারিগরি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ বলেন, আবু জাফর আল মুনসুর তাঁর প্রতিষ্ঠানে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। ওই পদটি এসএসসি পাসের সমমানের। এরপরও আবু জাফর কী করে ওই কলেজের অধ্যক্ষ হবেন, তা তিনি ভেবে পাচ্ছেন না।মুঠোফোনে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আবু জাফর আল মুনসুর নিজেকে ওই কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করে বলেন, নারী শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সালে স্থাপিত হলেও চলতি বছরে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। শিগগিরই সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিদর্শন করা হবে। অধ্যক্ষ হওয়ার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১২ আমি হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান)সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছি।’কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত ওই বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব সনদ বাতিল করেছে—স্মরণ করিয়ে দিলে আবু জাফর বলেন, ‘তাহলে তো সমস্যাই।’বাগমারার ভবানীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার আবদুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে কোনো জমি রেজিস্ট্রির তথ্য তাঁর জানা নেই।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ নামে কোনো প্রতিষ্ঠান বাগমারায় নেই। ২০০০ সালে স্থাপিত হলে তাঁর দপ্তরে এ সম্পর্কে তথ্য থাকত। | 264,304 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জুলাই ২০১৫, ০২:১২ | ১১ জুলাই ২০১৫, ০২:১৩ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | হরিজন বন্ধুদের সংবর্ধনা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/575161 | সারা দেশে হরিজনদের মানবাধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য তাঁদের জনগোষ্ঠীর ৪১ জনকে মরণোত্তরসহ মোট ১৬৫ জনকে সংবর্ধনা-সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আয়োজকেরা অভিযোগ করেন, দেশের আমলারা হরিজনদের ব্যাপারে আন্তরিক নন। গতকাল শুক্রবার জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় ‘মানবাধিকার আন্দোলনের পরিক্রমায় বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে হরিজন সম্প্রদায়ের বর্তমান অবস্থানে আসার পেছনে সাবেকদের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়।অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কৃষ্ণ লাল বলেন, যে অনৈক্যের কারণে হরিজনরা সমাজে অবহেলিত ছিলেন, সংগঠনের কারণে তাঁদের মধ্যে আর সেই অনৈক্য নেই। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বিভিন্ন দাবি মেনে নিলেও আমলাদের কারণে তা বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে না। আমলারা তা মানছেন না। তিনি বলেন, আমলাদের কারণে হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না, বড় ডিগ্রি নিয়েও চাকরি করতে পারছে না। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বিমল ডোম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। | 151,950 |
প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৩৯ | ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৪৩ | দুর্ঘটনা | 0 | ঈশ্বরদীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, শিশু শিক্ষার্থীসহ আহত ৬ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1560014 | পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদে আয়োজিত উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশু শিক্ষার্থীসহ ছয়জন আহত হয়েছে। পাঁচজন বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী ও একজন গ্যাস বেলুন বিক্রেতা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনার ঘটে।আহত সবাইকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জোবায়ের হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনের সময় সেখান থেকে ৬০ গজ দূরে বেলুনে গ্যাস ভরার জন্য সিলিন্ডার রেখেছিল এক বেলুন বিক্রেতা। হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তখন অনেকেই আতঙ্কে ছোটাছুটি করে। বিস্ফোরণে বেলুন বিক্রেতাসহ ছয়জন আহত হয়। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আহত সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেলুন বিক্রেতা বাপ্পীর (৪৫) বাড়ি পাবনার গোবিন্দপাড়ায়।সারা দেশের মতোই উপজেলা প্রশাসন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চত্বরে তিন দিনের উন্নয়ন মেলা আয়োজন করে। ঈশ্বরদীর উন্নয়ন মেলায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬২টি স্টল রয়েছে। | 378,692 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৩ আগস্ট ২০১৩, ০১:২৫ | ২৩ আগস্ট ২০১৩, ০১:২৭ | খেলা,হকি | null | পাকিস্তানের কাছে উড়ে গেল বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/41289 | কোনো বিদেশি দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলতে পারার আক্ষেপ নিয়েই মালয়েশিয়ায় এশিয়া কাপ হকিতে খেলতে গেছে বাংলাদেশ। হকি ফেডারেশন ভারতের তিনটি দল ওএনজিসি, এয়ার ইন্ডিয়া ও ফুড করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাউকেই ঢাকায় আনতে পারেনি। বাংলাদেশ দলের সম্বল বলতে ফেডারেশন একাদশের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাল একটা বিদেশি দলের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হলো জিমি-চয়নদের। অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। সাবেক এশিয়া ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ৫-০ গোলে হারাল বাংলাদেশকে। পাকিস্তান প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে।বড় দলের বিপক্ষে কোচ নাভিদ আলমের কৌশল রক্ষণাত্মক। কম গোল খাওয়ার দিকেই নজর সবার। কিন্তু পাকিস্তানের মতো পরাশক্তির কাছে ‘কম গোল’ও কম হওয়ার কথা তো নয়। অধিনায়ক মামুনুর রহমান (চয়ন) ম্যাচ শেষে কাল সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে জানিয়েছেন, ‘এশিয়া কাপের জন্য এটাই ছিল বড় দলের সঙ্গে আমাদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। ইপোহতে একেবারে নতুন মাঠে খেলতে বেশ অসুবিধা হয়েছে। বল অনেকটা লাফাচ্ছিল। তা ছাড়া পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী দল, আমরা চেষ্টা করেছি কম গোল খাওয়ার। কোচ ম্যাচের পরই আমাদের নিয়ে বসেছিলেন। ভুলত্রুটিগুলো শুধরে দিয়েছেন। এ রকম দলের সঙ্গে অন্তত পাঁচটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে এশিয়া কাপে আমরা অনেক ভালো করতে পারতাম।’ চয়নের চাহিদা পূরণ করার সুযোগ এখন আর নেই। তবে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার সঙ্গে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে ফেডারেশন। দলের প্রধান স্ট্রাইকার রাসেল মাহমুদ জিমি অবশ্য এই হারে ততটা হতাশ নন, ‘রক্ষণভাগের ভুলে বাজে কয়েকটি গোল খেয়েছি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে আরও দুই দিন অনুশীলন হবে। আশা করছি, কন্ডিশনের সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিতে পারব।’ ফেসবুকে কোচ নাভিদ আলম জানিয়েছেন, ‘নতুন মাঠে খেলতে ছেলেদের একটু সমস্যাটা আমি বুঝতে পেরেছি। তবে ওরা আমার পরিকল্পনামতোই খেলেছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ফলের চেয়ে ভুলত্রুটির দিকেই আমাদের নজর বেশি।’আগামী ২৫ আগস্ট বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ অভিযান। বাংলাদেশের গ্রুপে কোরিয়া ছাড়াও খেলবে শক্তিশালী ভারত ও ওমান। | 11,301 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২৯ মে ২০১৯, ১২:৫৬ | ৩১ মে ২০১৯, ১২:৩৬ | ক্রিকেট,পাকিস্তান,এশিয়া কাপ | null | ২০২০ এশিয়া কাপ পাকিস্তানে! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1596574 | ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় দলগুলো পাকিস্তান সফর করছে না। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পাকিস্তান থেকে নির্বাসনেই পাঠিয়েছে। এ অবস্থা বদলাতে চায় পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে চলছে নানামুখী চেষ্টা। ২০২০ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে তারা।১০ বছর ধরেই পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত। ২০০৯ সালের পর কেবল জিম্বাবুয়েই একটা সংক্ষিপ্ত ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে পাকিস্তানের মাটিতে। এর বাইরে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানিরা বঞ্চিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ থেকে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলকেও ‘হোম’ ভেন্যু বানাতে হচ্ছে বিদেশের মাটিকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) মরিয়া এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবে। চলছে নানা ধরনের চেষ্টা-তদবির। তবে এরই মাঝে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছ থেকে সুখবর মিলেছে। ২০২০ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের ভার পড়ছে পাকিস্তানের কাঁধে। গতকাল সিঙ্গাপুরে এসিসির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।সভায় পিসিবির সভাপতি এহসান মানি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিম খানসহ ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এর মাসখানেক আগেই এশিয়া কাপ হবে। ২০১৬ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আগামী এশিয়া কাপও তাই দেখবে ২০ ওভারের ম্যাচ।গত বছর সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবিতে সবশেষ এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ানডে সংস্করণে আয়োজিত সে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। সবচেয়ে বেশি সাতবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। ২০০৮ সালে সবশেষ পাকিস্তানে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। | 404,089 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৫ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০৩:০৪ | সরকার | null | চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের আহ্বান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/452338 | যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বিখ্যাত থিঙ্ক ট্যাংক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রেসিডেন্ট কেনেথ ওলাকের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার তাঁর ওয়াশিংটনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও এনডিআইপ্রধান কেনেথ ওলাক গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বচ্ছতা, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস দমন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় কেনেথ ওলাক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় খঁুজে বের করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এনডিআইপ্রধান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে পর্যায়ক্রমে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের জনগণ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে এনডিআইর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন। | 115,462 |
-1 | opinion | মতামত | ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:১৩ | ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:২২ | সম্পাদকীয়: | 0 | হোসেনি দালান হত্যা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1336896 | হোসেনি দালানে বোমা হামলার দুই বছর পার হলেও বিচারকাজ শুরু না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, নব্য জেএমবির সদস্যরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র পেশ করেছে।২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলা হলে দুজন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হন। একই বছর ২৬ নভেম্বর বগুড়ার একটি শিয়া মসজিদে হামলা চালিয়ে মুয়াজ্জিনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরের বছর মার্চে ঝিনাইদহে শিয়া সম্প্রদায়ের একজন হোমিও চিকিৎসককেও হত্যা করা হয়। তিনটি হত্যাকাণ্ডের দায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আইএস দাবি করলেও সরকারের দাবি, বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই।এখানে আইএস থাকা না থাকা বিতর্কের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা। প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, হোসেনি দালানের ঘটনার তিন আসামি অন্য কোনো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তিন আসামি জামিন নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এ রকম স্পর্শকাতর মামলায় আসামির জামিন পাওয়ার ঘটনা আমাদের অবাক না করে পারে না। সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে বিচার শুরু হতে পারছে না। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকারের। পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী যদি নব্য জেএমবির সদস্যরা হোসেনি দালান হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকেন, তাহলে তিন আসামি কীভাবে জামিন পেলেন? এখানে তদন্তকারীদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তদন্তকাজ শেষ না হওয়ায় কাছাকাছি সময়ের আরও অনেক জঙ্গি হামলার বিচার থমকে আছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার শূন্য সহিষ্ণুতা দেখাচ্ছে বলে দাবি করছে। আমরাও মনে করি, নিরীহ মানুষ হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ যাঁরা সংঘটিত করেছেন, তাঁদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যায় না। হোসেনি দালানের মামলায় যেহেতু তদন্তকাজ শেষ হয়েছে, সেহেতু আদালতে সাক্ষীদের উপস্থিত করে বিচারের কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। এ ব্যাপারে কোনো রকম বিলম্ব বা গাফিলতি মেনে নেওয়া যায় না। | 340,288 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৫ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৫ | ভারত | 0 | কলকাতায় বিজেপির সহসভাপতি গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/international/article/1060289 | প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। দীর্ঘ আট ঘণ্টা জেরার পর কলকাতার বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ গত শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে তাঁকে। জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কিছুসংখ্যক চাকরিবঞ্চিত ‘টেট’ (শিক্ষকতার যোগ্যতা নির্ধারণী) পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে লড়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি ৭ লাখ রুপি নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেননি। টাকাও ফেরত দেননি। তবে জয়প্রকাশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তাঁদের দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে জয়প্রকাশকে। | 283,927 |
তানজিম আল ইসলাম | life-style | জীবনযাপন | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৩ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৩ | অধুনা,জেনে নিন | 0 | মনের অপরাধ! | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1047687 | মন তো মুক্তবিহঙ্গ যা ইচ্ছা ভাবতে পারে। মনের আবার অপরাধ কিসের? মন কি আসলেই অপরাধ করে? নাকি সব অপরাধের পেছনে মনই আসল কারণ? দীর্ঘদিন ধরে অপরাধবিজ্ঞানীরা মনের অপরাধ বা মনস্তাত্ত্বিক অপরাধ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। অপরাধবিজ্ঞানীদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, জৈবিক ও জন্মগত ত্রুটির কারণে মানুষ মনস্তাত্ত্বিক অপরাধে জড়ায়। আবার কেউ বলেছেন, পারিপার্শ্বিক ও পরিবেশগত কারণই এ অপরাধের পেছনে দায়ী। সম্প্রতি আমাদের দেশে কিছু অস্বাভাবিক ধরনের অপরাধের ঘটনা দেখা গেছে। যেমন সন্তান মা-বাবাকে হত্যা করেছে, আবার মা সন্তানকে হত্যা করেছে, প্রেমিকাকে হত্যার চেষ্টা, স্ত্রীকে পাচার করা, শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা প্রভৃতি। অপরাধবিজ্ঞান এ ধরনের অপরাধের পেছনে মানুষের মনকেই দায়ী করেছে। আর এ মন নিয়ন্ত্রণ করে অনেকাংশে পরিবেশ পরিস্থিতি।দুষ্টু মনআইনে ‘মেনস রিয়া’ নামে একটি শব্দ আছে, যার অর্থ হচ্ছে ‘দুষ্টু মন’। এ দুষ্টু মনকে অপরাধ সংঘটনের পেছনে অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে গণ্য করা হয়। এ দুষ্টু মন হচ্ছে অপরাধটি সংঘটনের সময় দায়ী ব্যক্তির ইচ্ছা, অভিপ্রায় কিংবা উদ্দেশ্য। অপরাধীর অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে মনের ইচ্ছা বা অভিপ্রায় কতখানি তা আইন খুঁটিয়ে দেখে। নিছক আবেগের বশে কোনো অপরাধ আর পূর্বপরিকল্পনা করে অপরাধের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ জন্য দণ্ডবিধিতে নরহত্যা এবং খুনের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য টানা হয়েছে। নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য যদি কোনো অপরাধ ঘটে যায় তাহলে এটি আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও অপরাধের মনস্তত্ত্ব বিষয়টি অস্পষ্ট তবুও বিচারের ক্ষেত্রে একজন বিচারককে এ বিষয়টি সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হয়। মানুষের কামনা, বাসনা, ইচ্ছা, অভ্যাস এসবের সঙ্গে পরিবেশ পরিস্থিতি কীভাবে মনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আইন ভাঙার ক্ষেত্রে তা কীভাবে ভূমিকা রাখে তা বিচার-বিশ্লেষণ করতে হয়। মানসিক বিকারগ্রস্তদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, মানসিক বিকারগ্রস্ত লোকদের হিতাহিতজ্ঞান লোপ পেয়ে এমন একপর্যায়ে পৌঁছায় যে কোনটা অপরাধ বা ঘৃণিত কাজ তা বুঝতে পারে না। ব্যক্তিবিশেষের অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তির মাত্রাও তারতম্য হয়। যেমন একটি কিশোর বা কিশোরীর অপরাধ আর পূর্ণবয়স্কের অপরাধ এক হবে না। আবার পাগল বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অপরাধের মাত্রাও ভিন্ন হবে। শাস্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা।নারী ও পুরুষের মনের অপরাধ কি ভিন্ন?নারী ও পুরুষের অপরাধের ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। যদিও অপরাধীর সংজ্ঞায় নারী বা পুরুষের অপরাধের ভিন্ন কোনো সংজ্ঞা নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা নারীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টিকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। নারীর অপরাধের ক্ষেত্রে শারীরিক ভিন্নতা, পুরুষের ওপর নির্ভরশীলতা, প্রেমে ব্যর্থতা, নিরাপত্তাহীনতা, নির্যাতনের শিকার, উচ্চ বিলাসিতা ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়। নারীদের বিয়েসংক্রান্ত অপরাধে জড়িত হতে দেখা যায়। অনেক সময় আগের বিয়ের ঘটনা লুকিয়ে নতুন বিয়ে করে মিথ্যা নারী নির্যাতন বা যৌতুকের মামলা দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে। আবার প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে অনেক টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে পরবর্তী সময়ে তালাক দিয়ে দেনমোহরের টাকা দাবি করতে থাকে। অনেক সময় মামলা দায়ের করে তা আদায়ের ঘটনা দেখা দেয়। এ ছাড়া চুরি, চোরাচালান, মাদক গ্রহণ এবং ব্যবসার ক্ষেত্রেও নারীরা জড়িয়ে পড়েন। তবে এ ধরনের অপরাধ ঘটানোর ক্ষেত্রে পুরুষের সংখ্যা নারীর থেকে কোনো কোনো জায়গায় বেশি।পারিবারিক নির্যাতন কি মনস্তাত্ত্বিক অপরাধ?পারিবারিক যেসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটে এর পেছনে মনস্তাত্ত্বিক কারণ দায়ী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। অনেক সময়ই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনের মাধ্যমে প্রাপ্ত বা অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীরা বিভিন্ন অশালীন আচরণের শিকার হন। এমনকি ধর্ষণের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। শুধু তা-ই নয়, অনেক ছেলেশিশুও যৌন হয়রানির শিকার হয়। স্ত্রীকে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন দ্বারা মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন, অর্থনৈতিক নির্যাতনের পেছনে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে। এ ধরনের পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী বা শিশু হতাশায় এবং চেপে থাকা কষ্ট থেকে নিজেরাও অনেক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।সম্মোহন এবং প্ররোচনাঅনেক অপরাধী নিজেরা অপরাধ করার পাশাপাশি সহজ-সরল ব্যক্তিকে বিভিন্নভাবে সম্মোহন করে। প্ররোচনা কিংবা লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়ানোর চেষ্টা করে। বিশেষ করে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাতে জঙ্গিদের এ কৌশল অবলম্বন করতে দেখা গেছে। নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে অপব্যাখ্যা করে এবং ভ্রান্ত বিশ্বাসকে পুঁজি করে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে অপরাধে জড়িয়ে ফেলে। এ ধরনের সম্মোহনের ফলে নিরপরাধ ব্যক্তি খুব সহজে সম্মোহিত হয়ে নিজের অজান্তে অপরাধজগতে পা বাড়ায়। এমনকি আত্মঘাতী পর্যন্ত হয়ে পড়ে। এ ধরনের অপরাধ একধরনের মনস্তাত্ত্বিক অপরাধ।শাস্তি এবং পরিত্রাণের উপায়আইন বলে অপরাধ যে মাত্রারই হোক না কেন তা যদি অপরাধী মন নিয়ে করা হয়, এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন আইনে বিভিন্ন শাস্তি নির্ধারিত আছে। এমনকি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পর্যন্ত রয়েছে প্রচলিত আইনে। তবে শাস্তির ব্যাপারে নারী অপরাধীর ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা রয়েছে। জামিন পাওয়ার বেলায়ও নারীদের বিশেষ বিবেচনা করা হয়।মনস্তাত্ত্বিক অপরাধ থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে মনকে নিয়ন্ত্রণ এবং আইন সম্পর্কে সচেতন হওয়া। শাস্তির পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ রাখা উচিত। বিশ্বের অনেক দেশেই অপরাধীদের সংশোধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। আমাদের দেশে শিশু আইনে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা রয়েছে।লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট | 278,197 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মার্চ ২০১৪, ০১:১০ | ১৩ মার্চ ২০১৪, ০১:১১ | সাতক্ষীরা,খুলনা,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | সাতক্ষীরায় জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/167332 | সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিবিরের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল, ২৪টি বাইসাইকেল ও শিবিরের শতাধিক সাংগঠনিক বই উদ্ধার করা হয়েছে।মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আকবর আলী (২৪), আবদুর রউফ (২৩) ও আরিফুল ইসলাম (২৪)।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে পুলিশ ধলবাড়িয়া এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় ধলবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় জামায়াত-শিবিরের কয়েক শ নেতা-কর্মী গোপন বৈঠক করছেন, এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে শিবিরের সাথি পর্যায়ের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা সাংগঠনিক সভা করছিলেন। এ সময় পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছালে অন্যরা পালিয়ে যান।সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ৮-১০টি বোমা ও ককটেল ছুড়ে মারেন। পুলিশও কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছে। | 58,011 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০১ অক্টোবর ২০১৫, ০৮:৫৪ | ০১ অক্টোবর ২০১৫, ০৯:২৮ | দেশের ক্রিকেট | null | এর পরেও আসবে না অস্ট্রেলিয়া! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/643663 | একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল সফরে এলে যে ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়, অস্ট্রেলিয়া দলকে তার চেয়েও উন্নতমানের নিরাপত্তা-ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। স্টিভেন স্মিথদের মর্যাদা ‘ভিভিআইপি’ পর্যায়ে উন্নীত করে তাদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা-সুবিধারই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলকে এমন ধরনের নিরাপত্তা-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা বাংলাদেশের মাটিতে খেলতে আসা কোনো বিদেশি দলকে কোনো দিন দেওয়া হয়নি। এর পরেও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসবে না! অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসবে কিনা, ব্যাপারটা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা-ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে আন্তরিক অনুরোধ জানিয়েছেন, সফরটি যেন শেষ পর্যন্ত হয়। এক বিবৃতিতে নাজমুল হাসান বলেছেন, আমরা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলকে সব ধরনের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দিয়েছি। একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের জন্য সাধারণত যে ধরনের নিরাপত্তা-ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয় তার চেয়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ সরকারও।’ বিসিবি সভাপতি অস্ট্রেলীয় দলকে ‘ভিভিআইপি’ মর্যাদায় উন্নীত করার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছেন, ভিভিআইপি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধীনে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের প্রতিটি খেলোয়াড় রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের নিরাপত্তা সুবিধা ভোগ করবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রধান তাঁর বিবৃতিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে গত বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, বিসিবি অত্যন্ত সফলভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে আসা ২৪টি পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা বিধান করেছিল। অস্ট্রেলিয়া সে সময় বাংলাদেশের যে নিরাপত্তা-পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছিল, দেশের বর্তমান অবস্থা তার চেয়ে অনেক ভালো। এদিকে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসা দলটি গতকাল সারা দিনই অস্ট্রেলিয়াতে বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়েছে। তারা অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক দপ্তরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ সফর নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকে মিলিত হয়। বাংলাদেশ সফরে আসা অগ্রবর্তী নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দলটি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনায় বসে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া গতকালই বাংলাদেশ সফরের অপেক্ষায় থাকা টেস্ট স্কোয়াডের সদস্যদের নিজ নিজ রাজ্য দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ জারি করে দেয়। অনেকেই বলছেন, এমন নির্দেশ জারির পর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের ভাগ্য এখন সুতার ওপরই ঝুলছে। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ ড্যারেন লেম্যান স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সূত্র: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। | 172,553 |
তোফায়েল আহমেদ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মার্চ ২০১৯, ১২:১৬ | ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৩:১১ | স্থানীয় সরকার,সরকার,জনপ্রশাসন | 0 | কার্যকর ভিত তৈরিতে চাই সংস্কার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1584032 | স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে যেভাবে কার্যকর করা দরকার, বাংলাদেশ সে পথে যায়নি। সামরিক শাসনের অধীন রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার কাঠামোর অধীনে ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অধস্তন এজেন্সি’ হিসেবে স্থানীয় সরকার গঠন ও পরিচালনার ঐতিহ্য এ দেশে আইয়ুব আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়।স্বাধীন বাংলাদেশে যে সংবিধান রচিত হয়, তাতে সে কাঠামো থেকে বের হয়ে নতুন জনবান্ধব কাঠামোর একটি রূপরেখা দেওয়া হয়। সে রূপরেখা অনুযায়ী প্রতিটি প্রশাসনিক একককে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ওপর ‘প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হইবে’ মর্মে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা আছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অধীনে ‘প্রশাসন এবং সরকারি কর্মচারীদের কার্যাবলি, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনসেবা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।তবে রাষ্ট্র তা না করলে কী হবে, সেরকম প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা সংবিধানে রাখা হয়নি। সংবিধান এ–সংক্রান্ত সব অধিকার জাতীয় সংসদের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিয়েছে। সংবিধানের এ–সংক্রান্ত ধারার প্রথম শব্দ ‘আইনানুযায়ী’ অর্থাৎ সংসদ যেভাবে আইন প্রণয়ন করবে, সেভাবেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। সংসদ এখন তাই তার বিবেচনামতো ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিধান করেছে এবং তা কার্যকর হচ্ছে।দেশে একীভূত কাঠামোতে স্থানীয় সরকারের কোনো কাঠামো প্রতিষ্ঠিত নয়। এক একটি প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো এক এক রকম। ফলে আন্তপ্রতিষ্ঠান সম্পর্ক কাজ করে না। কোন স্তরের প্রতিষ্ঠান কী কাজ করবে, তার নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। সকল স্তরের জন্য দীর্ঘ একটি কার্যতালিকা আছে। সে কাজ সম্পন্নের জন্য কারও কাছেই প্রয়োজনীয় অর্থ-জনবল নেই। অপরদিকে মাঠ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছেই জনবল ও অর্থ। এ ধরনের পরস্পরবিরোধী আইনের বেড়াজালে স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় মাঠ প্রশাসন উভয়েই বন্দী।এখন পুরোনো সরকার (আওয়ামী লীগ) নতুনভাবে ক্ষমতাসীন, যদি তারা সত্যিকার অর্থে একটি টেকসই সংস্কার করা স্থানীয় সরকারব্যবস্থা চায়, তাহলে শুরুতে যে কাজটি করতে পারে তা হচ্ছে একটি শক্তিশালী কমিটি বা কমিশন করে দেশের স্থানীয় সরকার ও মাঠ প্রশাসনব্যবস্থার একটি বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন এবং করণীয় সম্পর্কে একটি দিকনির্দেশনা গ্রহণ। ভারত ‘বলবন্ত রায় কমিটি’, ‘অশোক মেহতা কমিটি’সহ অসংখ্য কমিটির মতামত নিয়ে সংস্কারগুলো করেছে।বর্তমানে আমাদের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্থরে প্রায় নয়টি মৌলিক আইন, দুই শতাধিক অধস্তন আইন বা রেগুলেশন, হাজার হাজার সার্কুলার রয়েছে। ফলে কাজকর্মে ঘোরতর বিশৃঙ্খলা। মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্মকর্তারাও অনেক সময় অনেক কিছুর সময়মতো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেন না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন। একীভূত একটি একক আইনে সব স্থানীয় প্রতিষ্ঠান চলতে পারে। আইন ও সার্কুলারের জঙ্গল থেকে স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে মুক্তি দিতে হলে একটি কমিটির মাধ্যমে এসব আইনের পর্যালোচনা প্রয়োজন। অনুরূপভাবে অর্থায়ন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে দেশের সিটি করপোরেশন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ––সবাইকে জাতীয় উন্নয়ন বাজেট থেকে যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা মোট উন্নয়ন বাজেটের ১ শতাংশেরও কম। এ রকম বরাদ্দের যৌক্তিকতা কী? তাহলে এত অর্থ-শ্রম-সময় দিয়ে এসব নির্বাচন করার কী মানে? সংবিধানের নির্দেশনারই বা কী অর্থ? একটি সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। পাঁচ বছর ধরেই স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হতে থাকে। নির্বাচন মানে অস্থিরতা, প্রশাসনসহ অনেকের দীর্ঘস্থায়ী ব্যস্ততা—আরও অনেক কিছু।পৃথিবীর অন্যান্য দেশে একটি একক তফসিলে এক দিনেই এসব নির্বাচন হয়ে থাকে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন হচ্ছে, অনেকে তার বিরোধিতা করছেন। সংগত কারণেই করছেন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেন, তাহলে তা করতে হবে কাউন্সিলর বা সদস্য নির্বাচন। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাঁরাই তখন চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন করবেন। দেশে পুরোনো স্থানীয় সরকার পদ্ধতির বদলে সংসদীয় পদ্ধতির স্থানীয় সরকার হবে। এ জাতীয় বহু সংস্কার ভাবনা আকাশে–বাতাসে ঘুরপাক খাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে কার্যকর একটি স্থানীয় সরকারের ভিত স্থাপন করতে চাইলে এ সরকারই গুরুত্ব দিয়ে একটি সংস্কার উদ্যোগ নিতে পারে।স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞআরও পড়ুন:স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শাসক দলের কবজায় | 394,319 |
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জুলাই ২০১৬, ০২:২৪ | ২১ জুলাই ২০১৬, ০২:২৫ | মানিকগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,রাজধানীর চারপাশ | null | রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি বাতিলের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/921058 | রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মূল অবকাঠামো নির্মাণ চুক্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখা। ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প আছে, সুন্দরবনের বিকল্প নেই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।বেলা ১১টায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা শাখার সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, জনমত, পরিবেশবিদ, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ ও গবেষকদের মতামত উপেক্ষা করে বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের এনটিপিসির সঙ্গে ১২ জুলাই রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি পাকাপোক্ত করে। চার-পাঁচ বছর ধরে বামপন্থী প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক জনতাকে নিয়ে এ ধরনের চুক্তি না করার দাবিতে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, লংমার্চসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে কমিটি। দেশের স্বার্থে এ চুক্তির বিপক্ষে জনমত গড়ে উঠেছে। দেশে যখন জঙ্গিবাদের আতঙ্ক চলছে, তখন সাধারণ জনগণ ও সচেতন মহলের বৃহৎ অংশকে পাশ কাটিয়ে এ চুক্তি সম্পন্ন করাটা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া কী হতে পারে? তিনি অবিলম্বে এ চুক্তি বাতিল ও বিকল্প জ্বালানি শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর দাবি জানান।তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলার আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত এ সর্বনাশা সিদ্ধান্তে দেশ ও সারা বিশ্বের পরিবেশবাদীরা হতবাক। এ প্রকল্প সুন্দরবন ধ্বংসের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি করবে। তারপরও সরকার সব জনমত ও বিশেষজ্ঞের মত উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি সম্পন্ন করল।কর্মসূচি চলাকালে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষক সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এম আর লিটন, শিবালয় উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাহিনুর রহমান প্রমুখ। | 241,974 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ৩০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৪ | ৩০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৪ | এশিয়া | 0 | ধ্বংসাবশেষ বঙ্গোপসাগরে! | http://www.prothom-alo.com/international/article/204955 | অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র অনুসন্ধান কাজের সঙ্গে জড়িত একটি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, তারা মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের নিখোঁজ উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ বঙ্গোপসাগরে শনাক্ত করেছে। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের যে এলাকায় বর্তমানে ব্যাপক হারে অনুসন্ধান অভিযান চালানো হচ্ছে, সেখান থেকে বঙ্গোপসাগরের এই স্থানটি পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে।অ্যাডিলেইডভিত্তিক জিওরিসোনেস নামের ওই প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা নিজস্ব উদ্যোগে গত ১০ মার্চ অনুসন্ধান অভিযানে নামে। পরে তারা নিখোঁজ উড়োজাহাজটির সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ বঙ্গোপসাগরে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র ডেভিড পোপ জানান, উড়োজাহাজটির সম্ভাব্য ধ্বংসস্থলের ২০ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠান। স্যাটেলাইটচিত্র ও উড়োজাহাজ থেকে সংগৃহীত ছবি ব্যবহার করে তারা গবেষণা চালায়। প্রাপ্ত তথ্য গবেষণার ক্ষেত্রে ২০ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে তারা। তিনি দাবি করেন, পরমাণু স্থাপনা ও ডুবোজাহাজ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যবহূত প্রযুক্তিই নিখোঁজ উড়োজাহাজের অনুসন্ধানে ব্যবহার করা হয়েছে।পোপ বলেন, উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগে তোলা চিত্রের সঙ্গে তাঁরা তাঁদের গবেষণালব্ধ তথ্য তুলনা করে দেখেছেন, সেখানে আগে যা দেখা গিয়েছিল, পরে তা দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার আগে সেখানে কোনো ধ্বংসাবশেষ ছিল না। আমরা বলছি না, এটাই নিখোঁজ উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু আমরা মনে করি, এটা পরবর্তী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বড় অর্জন।’এ ব্যাপারে মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক আজাহারউদ্দিন আবদুল রহমান স্টার পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা এ গবেষণার ব্যাপারে কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা এ প্রতিবেদন পরীক্ষা করে দেখব।’ পিটিআই। | 69,849 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জুলাই ২০১৭, ০২:৫২ | ১০ জুলাই ২০১৭, ০২:৫২ | অপরাধ | 0 | আমদানি করা অস্ত্র পুরোনো বলে জব্দ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1245106 | ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার কার্গো থেকে গতকাল রোববার আমদানি করা দুটি পিস্তল জব্দের কথা জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা। ওই চালানের সব পিস্তল পুরোনো ও অকার্যকর বলে দাবি করছে শুল্ক গোয়েন্দারা। তবে আমদানিকারকের দাবি, এত দিন তাঁরা যেসব পিস্তল এনেছেন, তার কোনোটিই পুরোনো নয়, এগুলোও পুরোনো হওয়ার কথা নয়।আমদানি নীতিতে পুরোনো অস্ত্র আমদানি নিষিদ্ধ। এর আমদানিকারক বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ইমরান আর্মস অ্যান্ড কোম্পানি।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানিয়েছেন, শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, ইতালি থেকে আসা অস্ত্রের চালানটিতে পুরোনো ও ব্যবহৃত অস্ত্র রয়েছে। এটি সুকৌশলে খালাস করা হবে। এই সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের এয়ার কার্গো ইউনিটের ১ নম্বর স্ট্রং রুমে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রগুলো পরীক্ষা করে দুটি ওয়ালথার পিপি পিস্তল আটক করা হয়। চালানটি ইতালি থেকে এসেছে। আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী, চালানের অস্ত্রগুলো নতুন হিসেবে আমদানি করা হলেও শুল্ক গোয়েন্দাদের পুনঃপরীক্ষায় এগুলো ব্যবহৃত ও অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়। এই চালানে আরও ৫৬টি অস্ত্র রয়েছে, যা খালাসের অপেক্ষায় আছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে বাকি অস্ত্র পরীক্ষা করা হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। আমদানিকারক ইমরান আর্মস কোম্পানির মালিক ইমরান আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ইন্টারনেটে ছবি দেখে অস্ত্র বাছাই করেন, এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিলে কোম্পানি ঢাকায় অস্ত্রগুলো পাঠিয়ে দেয়। এভাবেই কয়েক বছর ধরে তিনি ব্যবসা করে আসছেন। কোনো কোম্পানিই কখনো নতুন বলে পুরোনো অস্ত্রের চালান পাঠায়নি। এবারও এমনটি হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, ‘তবে সরকারি কর্মকর্তারা যেহেতু এই অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের প্রতি আমার সম্মান ও আস্থা আছে। তাঁরা যেভাবে বলবেন, আমি সেভাবেই করব। তবে আমার সব কাগজপত্রই ঠিক আছে। কারণ বৈধ সব কাগজপত্র ছাড়া ইউরোপের একটা দেশ থেকে অস্ত্রের চালান নিয়ে আসা খুবই কঠিন। ইউরোপে বিভিন্ন রকম কাগজপত্র দেখে, যাচাইয়ের পরেই তারা অস্ত্রের চালান আনার অনুমতি দেয়।’ তিনি বলেন, ‘সুকৌশলে খালাসের যে কথা বলা হয়েছে, সেটি শুনে মর্মাহত হয়েছি। ’শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কাস্টমস নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে ৩ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ দিনব্যাপী পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ওই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। | 325,350 |
সাঈদা ইসলাম, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ অক্টোবর ২০১৪, ০১:০৮ | ০১ অক্টোবর ২০১৪, ০১:০৯ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ঝাঁজ ছড়াচ্ছে গোলমরিচ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/334591 | চট্টগ্রামে পাইকারি বাজারে গোলমরিচ আর ধনিয়া ছাড়া বাকি মসলার দাম স্থিতিশীল। আদা-রসুনের দাম গত ১৫ দিনে তেমন বাড়েনি। তবে নতুন পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম এক রকম থাকলেও খুচরার ক্ষেত্রে বাজারভেদে দামে হেরফের হচ্ছে।খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ীরা বলেন, সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই গরমমসলার চাহিদা বাড়লেও গত রমজান মাসের তুলনায় বেশির ভাগ মসলার দাম কমেছে। তবে গোলমরিচ ও ধনিয়ার দাম বেড়েছে। গত মাসেও যেখানে পাইকারি বাজারে গোলমরিচের দাম ৮০০ টাকার নিচে ছিল, এখন তার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০০ টাকা। আর ধনিয়াও কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে। গত মাসে যা কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়।বাংলাদেশ গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি অমর কান্তি দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছর গোলমরিচের আমদানি কম ছিল। আর ধনিয়ার একটা বড় অংশ রপ্তানি হয়ে গেছে। সে কারণে এ দুটো মসলার দাম একটু বেশি। বাকি সবগুলো স্থির আছে। কোনো সংকট নেই।’খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন খুচরা বাজারভেদে দামে হেরফের হচ্ছে।গত সোমবার খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২২০ টাকা, ভিয়েতনামের কালো গোলমরিচ এক হাজার ৮০, সাদা গোলমরিচ এক হাজার ২০০, সিরিয়ান জিরা ৩৫০, ভারতীয় জিরা ২৫০, ধনিয়া ১৮০, এলাচ ৯৮০, জায়ফল ৭২০, জয়ত্রী এক হাজার ৫২০, পোস্তদানা ৮০০, রসুন ৭৫, আদা ১৫০, পেঁয়াজ ভারতীয় (নতুন) ৪০ ও ভারতীয় (পুরোনো) ৩৫ টাকা, হলুদ ১০০, দেশি মরিচ ১৪০।সোমবার খুচরা বাজারভেদে প্রতি কেজি ভিয়েতনামের কালো গোলমরিচ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ২৫০, সাদা গোলমরিচ এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০, সিরিয়ান জিরা ৪০০, ভারতীয় জিরা ৩০০, লবঙ্গ এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫৫০, পেঁয়াজ ভারতীয় (নতুন) ৪৫ ও ভারতীয় (পুরোনো) ৩৮-৪০ টাকা, ধনিয়া ২২০, এলাচ এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ২০০, জায়ফল এক হাজার, জয়ত্রী এক হাজার ৮০০, পোস্তদানা এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০, রসুন ৮৫, আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারের দামের পার্থক্য বেশি—এটি মানতে রাজি নন খুচরা বিক্রেতারা। ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচাবাজারের একটি দোকানের বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগেও মসলার দাম বেশি ছিল। কিন্তু এর পর থেকে আর দাম বাড়েনি। দু-একটা মসলা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, আমাদের ওই সব পণ্য বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে।’ | 97,999 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৫৩ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৫৭ | আলাপন,বিনোদন | 0 | ওটা ‘শোধ’ ধারাবাহিকের ছবি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/155275 | (সোমবার) সকালে কয়েকবার ফোন করেছি। পাইনি। খুব ব্যস্ত?হ্যাঁ, পুবাইলে। একটা নাটকের শুটিং হচ্ছে। আগামী রোজার ঈদের জন্য তৈরি হচ্ছে। নাটকের নাম জামাই বন্দী। মজার গল্প। গত বছর কোরবানির ঈদে বাংলাভিশনে প্রচার হয়েছিল জামাই পাগল নামে একটি নাটক। জামাই বন্দী ওই নাটকেরই সিক্যুয়াল।এখনই ঈদের কাজ শুরু করেছেন?নাটকটি তৈরি করছেন সালাহউদ্দিন লাভলু। শুনেছি তিনি শিগগিরই চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করবেন। তাই প্রয়োজনীয় কাজগুলো আগে থেকেই শেষ করছেন। ‘লঙ্গরখানা’ নাটকের কী খবর?শুটিং শেষ। এই কাজটা করতে গিয়ে অনেক মজা হয়েছে। গল্প, সংলাপ, অভিনয়—সবকিছুতেই হাসির একটা ব্যাপার ছিল। নাটকটি লিখেছেন বদরুল আনাম সৌদ আর পরিচালক নরেশ ভূঁইয়া। এর আগে সৌদের পরিচালনায় উপসংহার ধারাবাহিকে কাজ করেছি। নরেশ ভূঁইয়ার সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। তিনি খুব টেনশন করেন। আপনি তো চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন?রানআউট ছবির শুটিং প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছুদিন আগে আমি আর সজল কুতুবদিয়ায় গিয়েছিলাম ছবির একটা গানের শুটিং করতে। অনেক বছর আগে ওই চরে ভাত দে ছবির শুটিং করেছিলেন শাবানা। আমরা সেখানে দুই দিন কাজ করেছি। এরপর কাজ করেছি বান্দরবানে। ছবিটি পরিচালনা করছেন তন্ময় তানসেন।কিছুদিন আগে ফেসবুকে আপনার বিয়ের একটা ছবি দেখেছি।ওটা শোধ ধারাবাহিকের ছবি। আমার সঙ্গে অভিনয় করছেন শোয়েব। আগামী ১ মার্চ থেকে গাজী টিভিতে ধারাবাহিকটির প্রচার শুরু হবে। প্রযোজনা করছেন পথিক। এর আগে পথিকের কাচের পুতুল, অগ্নিপথ আর জননী ধারাবাহিকে কাজ করেছিলাম। বিনোদন প্রতিবেদক | 54,071 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৩ আগস্ট ২০১৮, ১১:৫২ | ২৩ আগস্ট ২০১৮, ১৩:১১ | টেলিভিশন | 0 | ঈদের টেলিছবি/খণ্ড নাটক | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1554694 | বাংলাদেশ টেলিভিশনরাত ৮-৪৫: সোনালি দিন। অভিনয়: সাব্বির, হিমি। রচনা: চয়নিকা চৌধুরী।দেশ টিভিসন্ধ্যা ৭-৩৫: বিশ্বাস, অভিনয়: আফরান নিশো, তানজিন তিশা। রচনা ও পরিচালক: সুমন আনোয়ার।চ্যানেল আই বেলা ২-৩০: গল্পটি হতেও পারতো ভালোবাসার। অভিনয়: মেহ্জাবীন, জোভান। রচনা: ফারিয়া হোসেন, পরিচালনা: চয়নিকা চৌধুরী। রাত ৭-৪০: আয়েশা (প্রথম খণ্ড)। ৯-৩৫: আয়েশা (দ্বিতীয় খণ্ড)। অভিনয়: তিশা, চঞ্চল চৌধুরী। রচনা ও পরিচালনা: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।এটিএন বাংলা সন্ধ্যা ৬-০০: মেঘে ঢাকা চাঁদ। পরিচালনা: সরদার রোকন। রাত ৮-৩০ নূরুল আলমের মধুচন্দ্রিমা। অভিনয়: আফজাল হোসেন, সুবর্ণা। রচনা: বদরুল আনাম সৌদ, পরিচালনা: আরিফ খান। ১১-৩০ সুমনা। রচনা: আশরাফুল চঞ্চল, পরিচালনা: নাজমুল হুদা।বাংলাভিশন বেলা ২-১০: গোপনে। অভিনয়: নুসরাত ইমরোজ তিশা, আফরান নিশো। রচনা ও পরিচালনা: ইমরাউল রাফাত। রাত ৭-৫০: মানিক চিপা। অভিনয়: জাহিদ হাসান, মৌসুমী। রচনা: মেজবাহ উদ্দিন সুমন; পরিচালনা: সাজ্জাদ সুমন। ৯-০৫: বাদশা ভাই। অভিনয়: সালাহ্উদ্দিন লাভলু, প্রভা। রচনা ও পরিচালনা: হিমেল আশরাফ। ১১-৫৫: মিস্ট্রিয়াস জার্নি। অভিনয়: মোশাররফ করিম, নাদিয়া। রচনা: মেজবাহ উদ্দীন সুমন। পরিচালনা: সৈয়দ শাকিল।বৈশাখী টেলিভিশনরাত ৮-১০: যেই লাউ সেই কদু-২। গল্প: টিপু আলম, পরিচালনা: আল হাজেন।দীপ্ত টিভিসন্ধ্যা ৬-৩০: পাল্টা সমীকরণ। অভিনয়: সাব্বির, অহনা। রাত ৯-০০: আজ পুতুলের জন্মদিন। অভিনয়: সাফা কবির, নিশো। রাত ১১-০০: আমার লেখা তোমার কাছে প্রথম চিঠি। অভিনয়: নিশো, শার্লিন। রাত ১২-০০: প্রেমিকার বিয়ে।গাজী টিভি সন্ধ্যা ৭-৩০: তোমার অপেক্ষায়। অভিনয়: অপূর্ব, মেহ্জাবীন। পরিচালনা: মাহমুদুর রহমান। রাত ৯-৩০: চিঠি। অভিনয়: ঊর্মিলা, অপু। পরিচালনা: আশুতোষ সুজন। রাত ১১-০০: ভাগের মা। অভিনয়: চঞ্চল চৌধুরী, নাদিয়া। পরিচালনা: দিপু হাজরা।এনটিভি বেলা ২-২০: আদিত্যের মৌনতা। অভিনয়: অপূর্ব, মম। রচনা ও পরিচালনা: শিহাব শাহীন। রাত ৮-০৫: বীথির বানান ভুল। অভিনয়: ইরফান সাজ্জাদ, সাফা কবীর। গল্প: মাহতাব হোসেন। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। ১১-১০: ওগো বধূ সুন্দরী। অভিনয়: মেহ্জাবীন, মাহ্ফুজ আহমেদ। গল্প: মোপাসা, চিত্রনাট্য: জুনায়েদ হোসেন। পরিচালনা: হিমেল আশরাফ।চ্যানেল নাইন বেলা ২-৩০: বিনি সুতার টানে। অভিনয়: অপূর্ব, মম, আয়াশ। পরিচালক: শিহাব শাহীন বিকেল ৪-৩০: মীরার বেহালা। অভিনয়: আনিসুর রহমান মিলন, মম। পরিচালক: শাহনেওয়াজ। সন্ধ্যা ৭-৪৫: মনচুরি। অভিনয়: অপূর্ব, ঊর্মিলা। রচনা: শফিকুর রহমান, পরিচালক: অনন্য ইমন। রাত ৯-৪৫: পাইনস্যা রুস্তম। অভিনয়: মিশু সাব্বির, প্রভা, সজল। রচনা: মেজবাউদ্দীন সুমন, পরিচালক: তাইফুর জাহান।মাছরাঙা টেলিভিশনরাত ৯-০০: একটি রাত ও অদ্ভুতুড়ে গল্পরাত ১০-৩০: আহা! প্রেমরাত ১১-৩০: কাছে আসার পরেএকুশে টেলিভিশনদুপুর ১২-৩০: প্রিয়জন, অভিনয়: নাঈম, মম। রাত ৮-০০: তাই তোমার গল্পে, অভিনয়: অপূর্ব, শার্লিন। রাত ১০-০০: ভুল মানুষ, অভিনয়: তৌসিফ, সাফা কবির।এসএটিভি বেলা ২-৩০: আমাদের সেই সব যোগাযোগ, অভিনয়: মিলন, অপর্ণা। পরিচালক: সেতু আরিফ। বিকেল ৪-৩০: আয়না। পরিচালক: মো. তাত্তকীর ইসলাম। রাত ৮-৩০: আবার তুই। অভিনয়: হাবিব, আয়েশা মারজানা। পরিচালক: তানিম রহমান। রাত ১০-৩০: শোক হোক শক্তি, অভিনয়: নিশো, নাদিয়া নদী, মেহ্জাবীন। পরিচালক: মিজানুর আরিয়ান। | 374,523 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ০০:২২ | ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ০০:২৪ | খাবারদাবার,নকশা | null | নারকেলের দুই পদ | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1002043 | ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী মুহসিনা তাবাসসুম। নতুন নতুন রান্না করা তাঁর শখ। ফেসবুক ও ইউটিউবে নিজের রান্নার রেসিপি প্রকাশ করেন। তাঁর দেওয়া নারকেলের দুটি পদের রেসিপি এখানে ছাপা হলোলেয়ার কোকোনাট কুলফিউপকরণ: বড় নারকেল ১টি (কোরানো), দুধ আধা লিটার, কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ, চিনি স্বাদ অনুযায়ী, লবণ ১ চিমটি ও খাবার রং (লাল) ৩-৪ ফোঁটা।প্রণালি: দুধ জ্বাল দিয়ে ৩০০-৪০০ মিলিলিটার করে নিন। দুধ কুসুম গরম থাকতে বা ঠান্ডা করে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এবার নারকেলের ওপরের ছাবা তুলে ফেলুন। অল্প কিছু থাকলে সমস্যা নেই। আবার ১-২ মিনিট ব্লেন্ড করে দুটি পাত্রে সমান করে তুলে রাখুন। এক ভাগে রেড কালার মিশিয়ে নিন বাকি অর্ধেক সাদা রাখুন। যেকোনো মোল্ডে নিচে পিংক কালারের লেয়ার দিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। নিচের লেয়ার জমাট বেঁধে গেলে বাকি অর্ধেক ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। ৪-৫ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।ফ্রুটস কেক উইথ কোকোনাট ফ্লাওয়ারউপকরণ: ময়দা দেড় কাপ, কোকোনাট ফ্লাওয়ার আধা কাপ, বেকিং পাউডার দেড় চা-চামচ, নারকেল দুধ তিন ভাগের এক ভাগ কাপ, ডিম ৪টি, চিনি ১ কাপ, সয়াবিন তেল ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, ইচ্ছামতো ড্রাই ফ্রুটস (বাদাম, মোরব্বা, কিশমিশ) ও ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা-চামচ।প্রণালি: শুকনা উপকরণ ভালো করে চেলে নিন। ডিমের সাদা অংশ বিট করে ফল বাদে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে বিট করুন। শুকনা উপকরণ স্প্যাচুলা দিয়ে হালকাভাবে মিশিয়ে নিন। সবশেষে ফ্রুটস দিয়ে হালকা মিশিয়ে কেকের মোল্ডে ঢেলে দিন। ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রিহিট করে ৩০-৩৫ মিনিট বেক করুন।টিপস: কোকোনাট ফ্লাওয়ার হাতের কাছে না পেলে ড্রাই কোকোনাট ফুড প্রসেসরে বা ব্লেন্ডারে দিয়ে পাউডার করে নিন। গ্রেট করা কোকোনাট ১-২ টেবিল চামচ কুসুম গরম দুধ দিয়ে ব্লেন্ড করে চিপে নিলেই কোকোনাট মিল্ক রেডি। ঠান্ডা হলে ক্রিম বা কোকোনাট মিল্ক সস দিয়ে পরিবেশন করুন। | 257,105 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৩ জুলাই ২০১৬, ০৮:৪৮ | ২৩ জুলাই ২০১৬, ১৭:৫৭ | ইউরোপ | null | মিউনিখে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৯ | http://www.prothom-alo.com/international/article/922840 | জার্মানির মিউনিখ শহরে একটি বিপণিকেন্দ্র গতকাল শুক্রবার গুলির ঘটনায় নয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৬ জন আহত। এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ বলছে, হামলাকারী হিসেবে একজন সন্দেহভাজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৮ বছরের এই তরুণ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, হামলাকারীর উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। তিনি ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। পুলিশের কাছে তাঁর বিষয়ে আগের কোনো তথ্য নেই। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো রেকর্ডও নেই। ওই বিপণিকেন্দ্রে গুলির ঘটনায় শুরুতে পুলিশ ধারণা করেছিল, অন্তত তিনজন বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে। কালো পোশাকধারী এক ব্যক্তি নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বেরিয়ে আসছে—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। গুলির এ ঘটনায় শহরের প্রধান রেলস্টেশনটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় শহরের বাস, পাতালরেলসহ অন্যান্য গণপরিবহন। এতে আটকা পড়ে লোকজন। শহরবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে টুইট করে পুলিশ। মিউনিখের পুলিশ তাদের ফেসবুক পেজে হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনাকে ‘সন্দেহজনক সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করে। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে শহরে ম্যাকডোনাল্ডসের একটি রেস্তোরাঁয় গুলির ঘটনা শুরু হয়। পরে তা আশপাশের সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বন্দুকধারী সেখানকার অলিম্পিক স্টেডিয়ামের পাশে অলিম্পিয়া শপিং মলে ঢুকে পড়ে। দ্রুত বিপণিবিতানটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। আকাশে চক্কর দিতে থাকে হেলিকপ্টার। পুলিশ বলছে, ওই সন্দেহভাজনের লাশ অলিম্পিয়া বিপণিকেন্দ্র থেকে এক কিলোমিটার দূরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনার আগে গত সোমবার জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরের একটি ট্রেনে কুড়াল নিয়ে হামলা চালিয়ে চার যাত্রীকে আহত করে এক কিশোর। পরে পুলিশের গুলিতে ওই আফগান কিশোর নিহত হয়। সূত্র: এএফপি, বিবিসি, সিএনএন।আরও পড়ুন: মিউনিখে বিপণি বিতানে গুলিতে ছয়জন নিহত | 242,516 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৩ | ২৮ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৪ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,অপরাধ | 0 | চকবাজারে গাড়ি, দোকান ভাঙচুর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1008991 | ব্যাটারিচালিত রিকশা টমটম চালানোর পক্ষের কিছু লোক গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারের ডিসি রোড এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা সাতটার দিকে ৪০-৪৫ জন যুবক আচমকা ডিসি রোড এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরে টমটম নিষিদ্ধ হলেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ডিসি রোড থেকে আন্দরকিল্লা পর্যন্ত টমটম চালানো হচ্ছিল। বেপরোয়াভাবে টমটম চালানোর কারণে ওই সড়কে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে আহত হয়। এ জন্য স্থানীয় লোকজন টমটম বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানায়। একপর্যায়ে পুলিশ টমটম চালানো বন্ধ করে দেয়। পাঁচ দিন আগে আবারও টমটম চালানো শুরু হলে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে টমটম চালানোর পক্ষের লোকজনের বিরোধ দেখা দেয়।এর জের ধরে গতকালের এই হামলার ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী ফয়সাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘৪০-৪৫ জন সন্ত্রাসী আচমকা এসে দু-তিনটি গাড়ি ও রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নুরুল মোস্তফার অনুসারী। টমটম চালু রাখার জন্য এ হামলা হয়েছে।’তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল মোস্তফা বলেন, ‘ডিসি রোড এলাকায় সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলে আমাকে দায়ী করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বলেন, ‘ডিসি রোডের ঘটনায় শহীদুল ইসলাম নামের সন্দেহভাজন একজনকে আমরা আটক করেছি।’ | 260,218 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৪৯ | ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৭ | খালেদা জিয়া,আওয়ামী লীগ,রাজনীতি,রাজধানী,ঢাকা বিভাগ,বিএনপি | null | খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়ায় হাঁটুন: হানিফ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1587741 | আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে বিএনপিকে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। তিনি বলেন, কোনো কয়েদিকে আইনগতভাবে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, বিএনপি চেয়ারপাসনকে আইনবহির্ভূতভাবে তার চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে।আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) ‘ভবনের কর্মদক্ষতাভিত্তিক অগ্নিসুরক্ষা: বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি এ সভার আয়োজন করে।গতকাল খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এক গণ–অনশন কর্মসূচিতে বিএনপির নেতারা তাঁকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করার কথা বলেন। সে প্রসঙ্গে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। এ ধরনের আন্দোলনের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’ মানুষ বিএনপির আন্দোলনের সাড়া দেবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই খালেদা জিয়ার জন্য উদগ্রীব থাকলে আইনি প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করুন। আইনি প্রক্রিয়ায় যদি মুক্ত করা সম্ভব সেই পথে হাঁটেন। এর বাইরে অন্য কোনো পথে লাভ হবে না।’সম্প্রতি প্যারোলে খালেদার মুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্যারোল নিয়ে হানিফ বলেন, ‘প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি কেন কীভাবে এসেছে আমরা জানি না। খালেদার পক্ষ থেকে যদি আবেদন করা হয়, সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবেচনা করতে পারে। এরা বাইরে আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।’আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদার রোগমুক্তি নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। খালেদাকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘আমি তো আপনাদের দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, বাংলাদেশে শুধু নয়, পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো কয়েদিকে আইনগতভাবে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার চেয়েও বেশি আইনবহির্ভূতভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন মাহাবুবুল আলম হানিফ। তিনি বলেন, তারা শুধু সরকারের ব্যর্থতাই খুঁজে বেড়ায়, সফলতার কথা কখনো তাদের মুখে শোনা যায় না।গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন ঘটেছে, তাতে দেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে জানিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দেশে আধুনিক ভবনও তৈরি হচ্ছে, উঁচু ভবনও তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের ভবন যত বেশি তৈরি হচ্ছে, মানুষের একদিকে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নূর। তিনি অগ্নিনিরাপত্তায় দক্ষ জনবল গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ‘ফায়ার প্রটেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ কোর্স চালু করার প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া প্রতিটি ভবনে একজন ‘ফায়ার মার্শাল’ ও ওই ভবনের সব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ‘সাবফায়ার মার্শাল’ রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক আলী আহম্মেদ খান, আইইবির সভাপতি আবদুস সবুর খান প্রমুখ। | 397,047 |
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা | entertainment | বিনোদন | ২৫ মার্চ ২০১৮, ১১:২৬ | ২৫ মার্চ ২০১৮, ১১:২৮ | টেলিভিশন | 0 | এবারের ‘ইত্যাদি’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1456651 | জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র এবারের অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ১৬ মার্চ জেলার তিতাস নদীর তীরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের এক নম্বর কূপের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিস দিয়ে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় অনুষ্ঠানটি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই গ্যাস ফিল্ডের ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণ রেডিও সম্প্রচারের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার মাসে ইত্যাদি ধারণ ও প্রচারের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বহু বীর গাথায় সমৃদ্ধ এই জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।জানা গেছে, এবারের পর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন রয়েছে। ব্যতিক্রমী এক অটোরিকশাচালক দুলাল চন্দ্র দাসের ওপর একটি মানবিক প্রতিবেদন দেখানো হয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইসাহাক শরীফের ওপর রয়েছে একটি শিক্ষণীয় প্রতিবেদন। এ ছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নেদারল্যান্ডসের নাগরিক আনোয়ারা বেগমের নিজের শিকড়ের সন্ধানের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এবারের ইত্যাদিতে মূল গান রয়েছে একটি। দেশাত্মবোধক গানটি গেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান দেশের সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। গানটি লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন রাজেশ। গানটির সঙ্গে কোরিওগ্রাফি করেছেন স্থানীয় শিল্পীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন এই জেলার অভিনয়শিল্পী জাকিয়া বারী মম ও স্থানীয় একদল নৃত্যশিল্পী।নিয়মিত পর্বসহ এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ। ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। ইত্যাদি প্রচারিত হবে ৩০ মার্চ, শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বিটিভিতে। | 358,980 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০২:০৫ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০২:০৬ | পরিবেশ | null | ৩৭ কিলোমিটারে খানাখন্দ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1317571 | বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার পাথরঘাটা-বামনা-কাঁঠালিয়া-রাজাপুর আঞ্চলিক সড়ক ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর প্রায় ৩৭ কিলোমিটারে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে খানাখন্দে কাদাপানি একাকার হয়ে যায়। ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল।সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বরগুনা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ সড়কের বরগুনা অংশে রয়েছে ৪৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার। বরগুনা অংশের প্রায় ৬ কিলোমিটার এবং ঝালকাঠি অংশের ৩১ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগই খানাখন্দে ভরা। বিশেষ করে আমুয়া ফেরিঘাট থেকে কাঁঠালিয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অত্যন্ত বেহাল। এ অংশ যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আন্তজেলা বাস ছাড়াও পাথরঘাটা-ঢাকা, পাথরঘাটা-চট্টগ্রাম, কাকচিঁড়া-খুলনা-যশোর, বরগুনা-কাকচিঁড়া-যশোর-বেনাপোল পথের অন্তত ৪০টি বাস চলাচল করে। এ ছাড়া রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যানসহ অন্য যানবাহনও চলাচল করে। পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন অনেক ট্রাক মাছ নিয়ে দেশের নানা স্থানে যায় এই সড়ক ধরে।কাঁঠালিয়া মনোশিতা মহিলা কলেজের শিক্ষক মো. ফেরদাউস প্রথমআলোকে বলেন, আমুয়া ফেরিঘাট থেকে কাঁঠালিয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক বেহাল হয়ে পড়ায় কাঁঠালিয়ার বাসিন্দাদের অন্তত ১৩ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে ভান্ডারিয়া হয়ে ঝালকাঠি জেলা সদরে যেতে হয়। এতে প্রতিদিন অন্তত দেড় ঘণ্টা সময় ও ৭০-১০০ টাকা বাড়তি ব্যয় করতে হয়।রাজাপুর আঙ্গারিয়া এলাকার কলেজছাত্র মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে রাজাপুর ডিগ্রি কলেজে যাতায়াত করতাম। কিন্তু বর্তমানে সড়কের দুরবস্থার কারণে হেঁটেই কলেজে যাই।’আমুয়া এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানি মো. কুদ্দুস সিকদার বলেন, গত এক সপ্তাহে এই সড়কে দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।মো. জাকির হোসেন নামের একজন বাসচালক বলেন, ‘এই রাস্তায় প্রতিদিন আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রায়ই গাড়ি রাস্তার মধ্যে বিকল হয়ে যায়। তখন যাত্রীদের মারাত্মক ভোগান্তি হয়।’আরেক বাসচালক রেজাউল কবির বলেন, রাজাপুর পর্যন্ত সড়কের অনেক স্থানে দুই পাশ ভেঙে সংকুচিত হয়ে গেছে। কোথাও আবার খানাখন্দ হয়েছে।কাঁঠালিয়ার অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. সবুর হাওলাদার বলেন, প্রায় প্রতিদিনই রোগী নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কের কারণে রোগীদের খুব কষ্ট হয়। আমুয়া এলাকার মাহেন্দ্রচালক মনির হোসেন বলেন, ‘আমাদের গাড়ির চাকা ছোট। গর্তের কারণে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।’গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, পাথরঘাটা অংশের ছোট পাথরঘাটা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ঘুটাবাছা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার, সোনালি বাজার থেকে ঘুটাবাছা বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার, আমড়াতলা থেকে গুদিঘাটা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার, কাঁকচিড়া বাজারের দক্ষিণ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ।সওজ বিভাগের ঝালকাঠি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া সড়কের যেসব অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে সেখানে চলাচলের উপযোগী করতে কাজ করা হচ্ছে।’ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সাংসদ বজলুল হক হারুন বলেন, ‘সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বেশির ভাগ অংশ বেহাল হয়ে পড়েছে। গত ৯ আগস্ট একনেকের বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কটি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আশা করি, খুব শিগগির এই সড়কের উন্নয়নকাজ শুরু হবে।’ | 337,481 |
প্রতিনিধি, বগুড়া | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ মার্চ ২০১৯, ১৭:৩৫ | ২৭ মার্চ ২০১৯, ১৩:৩৮ | রাজনীতি,রাজশাহী বিভাগ,বগুড়া,ছাত্রলীগ,আওয়ামী লীগ,সন্ত্রাস | null | আ.লীগ নেতাদের নাম ঘোষণা হয়নি তাই... | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1585399 | স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোপনীয় সহকারী (সিএ) ও এক স্কুলশিক্ষক। তাঁরা দুজনেই অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন। আজ মঙ্গলবার বগুড়ার শাজাহানপুরে উপজেলার মাঝিড়া মডেল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান মাঝিড়া মডেল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল ৮টায় অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য সঞ্চালক ইকবাল ও আরেক নারী সঞ্চালক অতিথিদের নাম ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সঞ্চালকেরা সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. ফুয়ারা খাতুন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর রহমান, উপজেলা সভাপতি দিলীপ কুমার চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতার নাম ঘোষণা করেন। নাম অনুযায়ী প্রত্যেকের আসনও নির্ধারণ করা ছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ, শাজাহানপুর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনের নাম আলাদা করে ঘোষণা করা হয়। এমনকি আওয়ামী লীগের কোনো নেতার নাম মাইকে ঘোষণা করা হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, এ বিষয় নিয়ে একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা সঞ্চালক ইকবালের ওপর চড়াও হন। এর মধ্যেই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ওরফে রঞ্জু উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতেই ইকবালের বুকে ধাক্কা দেন। এ নিয়েই শুরু হয় হট্টগোল। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যান দলীয় কার্যালয়ে। পরে দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে। ইউএনও ফুয়ারা খাতুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রথমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি রাকিবুল। তিনি ইকবালের কলার চেপে ধরেছেন। আরেক নারী সঞ্চালকের গায়েও হাত তোলা হয়েছে। তাঁদের গায়ে হাত তোলা মানে ইউএনওর গায়ে হাত তোলা। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার বাদল বিএনপির সমর্থক। আর নতুন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন আওয়ামী লীগের। ইউএনও ফুয়ারা খাতুন আরও বলেন, নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে এভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার কথা নয়। এই বিষয়ে অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাকে কীভাবে অভিবাদন মঞ্চে ডাকা হবে, অনুষ্ঠান চালানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা সে সময় সম্মতিও দিয়েছেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে এসে কথা রাখতে পারেননি নেতারা। অনুসারীরা উঠে যাওয়ার পর নেতারাও চলে গেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়নি, এ কারণে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন বের হয়ে এসেছে। আমার এখনো গেজেট হয়নি। সুতরাং আমি এর কোনো অংশ নই। আমি মঞ্চের ডানপাশে বসেছিলাম। লাঞ্ছিত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর রহমান বলেন, জাতীয় সংগীত হওয়ার সময় প্রটোকল ঠিক ছিল। কিন্তু পরে বর্তমান চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ দাওয়াত দিয়ে এনে নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়নি। উপজেলার সভাপতিসহ অন্য নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা উঠে যায়। লাঞ্ছিত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ কুমার চৌধুরী জানান, অনুষ্ঠানে মঞ্চে তাঁদের ডাকা হয়নি। এ কারণে নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে আসেন। ইকবালকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম ঘোষণা নিয়ে জটিলতার কারণে তাঁরা অনুষ্ঠান থেকে চলে গেছেন। তবে আমার জানামতে লাঞ্ছিত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ | 395,254 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৩১ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৩২ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | দাম বাড়ানোর আগে চুরির পথ বন্ধ করুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/620929 | গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে এই খাতে চুরির পথ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অজয় রায়। তিনি বলেন, সব অস্থিরতা দূর করে যখন দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে চলছে, ঠিক তখনই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে আবার অস্থিরতার সৃষ্টি করা হচ্ছে।‘বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে’ গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।অজয় রায় বলেন, চুরি ও সিস্টেম লসে প্রতিবছর সরকারের অনেক অর্থ ক্ষতি হয়। কিন্তু এই চুরির পথ বন্ধ না করে কার স্বার্থে মূল্যবৃদ্ধি করা হলো? গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে এর প্রভাব দেশের জনজীবনের ওপর পড়বে। প্রতি বাড়িতে গ্যাসের মিটার লাগানোর পদক্ষেপ কোথায় গেল? মিটার না স্থাপন করে চুরির পথ খোলা রেখে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। তিনি দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।সমাবেশের ঘোষণাপত্রে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন তারেক আলী বলেন, বিশ্বব্যাপী যখন জ্বালানি তেলের দাম কমছে, তখন এ দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে।এমন বিপরীতধর্মী ঘোষণা দেশের মানুষকে বিস্মিত ও বিক্ষুব্ধ করেছে, সবার মনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে, কার স্বার্থে কেন হঠাৎ এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ তালুকদার তাঁর বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান। | 165,441 |
মনিরুল ইসলাম, যশোর | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:৪৭ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:৪৯ | যশোর,খুলনা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | ১৫ সন্ত্রাসীর কাছে জিম্মি যশোর পলিটেকনিক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/330613 | উঠতি বয়সের কয়েকজন সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন হাজার শিক্ষার্থী। ওই সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে ক্যাম্পাসে ঢুকে ছিনতাই-অপহরণ করছে। গত এক বছরে শতাধিক মুঠোফোন ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী তৌহিদুর রহমান ওরফে জুয়েলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ওই সন্ত্রাসীরা এসব কর্মকাণ্ড করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য জুয়েল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।যশোর উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ মোসাদ্দেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আশপাশের এলাকার ১২ থেকে ১৫ জনের উঠতি সন্ত্রাসী চক্র ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছিনতাই করছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। পলিটেকনিকের কয়েকজন ছাত্রও ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। বেশির ভাগ সময় ছিনতাইকারীর নাম-পরিচয় জানা যায় না। যে কারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সমস্যা হয়।’পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে পলিটেকনিকের ক্যাম্পাস থেকে স্থানীয় আকাশ, আশিকসহ তিন তরুণ তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র রাকিব আজাদকে ডেকে একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে আটকে রেখে পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাকিবের পরিবার পুলিশের পরামর্শে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আকাশ ও আশিক বেধড়ক পিটিয়ে রাকিবকে রাত আটটার দিকে শহরের ধর্মতলা এলাকায় ফেলে যায়।পরদিন রাকিবের মা শারমিন সুলতানা তিনজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন। এ ঘটনায় আকাশ ও আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের পকেট থেকে গাঁজা সেবনের কলকেসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা জানান, স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ বখাটে সন্ত্রাসী এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। আর এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন ছাত্রলীগের নেতা জুয়েল। বখাটেরা নিজেদের এলাকার বড় ভাই হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা ক্যাম্পাসে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে কথা বলতে দেখলেই লাঞ্ছিত করে এবং টাকাপয়সা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। হেনস্তা হওয়ার ভয়ে ছেলেমেয়েরা নিজেদের মধ্যে কথা বলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল বলেন, ‘আমরা একই এলাকায় বসবাস করি। এলাকার লোকজনের ভালো-মন্দ দেখি। এর মধ্যে কেউ যদি ছিনতাই করে, তাহলে কি তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হলো।’পলিটেকনিকের শিক্ষক সুলতান আহমেদ বলেন, নতুন পর্বের পাঠদান শুরুর সময়ে ছিনতাইয়ের প্রবণতা বাড়ে। গ্রাম থেকে নতুন ছেলেমেয়ে এলেই ছিনতাইকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ সামসুল আলম বলেন, পলিটেকনিকের কোনো ছাত্র ছিনতাই-অপহরণের সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য এবং বহিরাগতদের প্রতিরোধ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। | 96,511 |