author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
চাঁদপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৪২ | ১৬ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৪৫ | চাঁদপুর,বিশাল বাংলা,অপরাধ,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/684796 | চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ডিসেম্বরে বিজয় মেলার আয়োজন করা হবে। এখন থেকে শুরু হয়ে গেছে মাঠ দখল। গত বছর তৎকালীন জেলা প্রশাসক এই মাঠে মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিলেও তা উপেক্ষা করা হচ্ছে।বর্তমান জেলা প্রশাসক আবদুস সবুর মণ্ডল বলেন, ‘মেলা করার ব্যাপারে আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টি দেখছি।’মাঠটি হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের হলেও পাশের হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এটা ব্যবহার করে। মাঠটি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। বসানো হয়েছে অনেকগুলো স্টল। আরও স্টল নির্মাণ চলছে।বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে পাঁচ হাজার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী আছে। মাঠ থেকে ১০ গজ দূরে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ ও হোস্টেল। কলেজে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। মাঠের পূর্ব পাশে ৫০ গজ দূরে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। সেখানে আছে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী। মেলার কারণে তাদের সবার লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে।হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, গত বছর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন বিদ্যালয়ের আপত্তি ও শহরে যানজটের কথা চিন্তা করে মেলাটি এই মাঠে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। | 174,770 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ নভেম্বর ২০১৩, ০২:১৭ | ২২ নভেম্বর ২০১৩, ০২:১৯ | সরকার | 0 | মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার আহ্বান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/79768 | রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের সঞ্চৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী ও অন্যান্য খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের উত্তরাধিকারীদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। খবর বাসসের।রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক সকাল আটটায় শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের সঞ্চৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন। দিবসটি উপলক্ষে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল সামরিক অভিবাদন জানায়। পরে রাষ্ট্রপতি দর্শনার্থীদের বইতে স্বাক্ষর করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল এম এনামুল বারী ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল আবু বেলাল মুহামঞ্চাদ শফিউল হক তাঁকে স্বাগত জানান।ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা কঠোর আত্মত্যাগ এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কাজেই আমাদের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে।’ তিনি বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে নেওয়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ‘উদ্ধার পরিকল্পনা, ২০১০’ নামের একটি রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। এর মাধ্যমে ২০১৪ সাল নাগাদ অতীতের সব জটিলতা ও দায়মুক্ত হয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কমপক্ষে ১৩৫ কোটি টাকার মূলধন আহরণ করবে।শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা দুই হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাচ্ছেন। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের মাসিক ভাতা ১১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা এবং শহীদ পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করে সাত হাজার ২০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে কয়েকজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে উপহার হিসেবে চেক, মুঠোফোন ও শাল বিতরণ করেন। পরে তিনি কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের নবনির্মিত ভবন এবং ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেটের পূর্বদিকে স্বাধীনতা টাওয়ারের উদ্বোধন করেন। | 29,870 |
আবদুস সালাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ২০:৩৭ | ২৩ জুলাই ২০১৮, ১২:৩৯ | ছবির গল্প,পুরান ঢাকা | null | প্রাচীন ভবনটি ভাঙা হচ্ছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1537996 | পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে নবদ্বীপ বসাক লেনের ৩ নম্বর বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। প্রাচীন এই ভবনটি ভাঙা বন্ধ করতে আদালতে যায় আরবান স্টাডি গ্রুপ। তাদের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত মে মাসে হাইকোর্ট এই ভবনটি ভাঙার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। এর বিরুদ্ধে ভবনের মালিক আপিল করলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত। এরপর আরবান স্টাডি গ্রুপ রিভিউ আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে ভবনটির সিংহভাগ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরবান স্টাডি গ্রুপের প্রধান স্থপতি তাইমুর ইসলাম বলেন, ভবনটি আঠারো শতকের শেষের দিকে অথবা উনিশ শতকের শুরুর দিকে নির্মিত। ভবনটি ভেঙে ফেলায় নবদ্বীপ বসাক লেনে এর সমসাময়িককালের আর কোনো প্রাচীন ভবন রইল না। ছবিগুলো রোববারের। | 371,144 |
শক্তি সাহা, ঢাকা | life-style | জীবনযাপন | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৯ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৫৫ | পেশা,চাকরিবাকরি,বাণিজ্য মেলা,চাকরির খবর | 0 | বাণিজ্য মেলায় খণ্ডকালীন চাকরিতে আবেদনের সময় এখনই | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1566483 | তরুণদের পছন্দের চাকরির তালিকার শীর্ষে রয়েছে খণ্ডকালীন চাকরি। আর তাই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে এককথায় পছন্দের স্থানই বলা চলে। প্রতিবারের মতো আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। প্রতিবছরই মেলায় প্রচুর দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, যারা মেলায় নিজেদের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি চালায় প্রতিষ্ঠানের প্রচারও।বাণিজ্য মেলা চলাকালে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পণ্য বিক্রয় ও সঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য তাদের নিয়মিত কর্মীর পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক চুক্তিভিত্তিক খণ্ডকালীন কর্মী নিয়োগ করে থাকে। আর এর সিংহভাগই নেওয়া হয় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে।প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই শুরু করেছে তাদের কর্মী নিয়োগপ্রক্রিয়া। তাই খোঁজ নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে মেলা চলাকালীন খণ্ডকালীন কর্মী হিসেবে যোগ দিতে পারেন আপনিও।বাণিজ্য মেলায় খণ্ডকালীন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরই বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে জানালেন প্রাণ আরএফএল গ্রুপের প্রধান ব্যবস্থাপক (ইভেন্ট) আদিল খান। তিনি বলেন, ‘আমরা গতবারও প্রায় ৩০০ জন কর্মী নিয়েছিলাম। এবারও ২৫০ জনকে নেওয়া হবে। আমরা সদ্য স্নাতক অথবা বর্তমানে যাঁরা স্নাতক সম্পন্ন করছেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হয়।’ তবে এইচএসসি পাস করা প্রার্থীদেরও নিয়োগের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।বাণিজ্য মেলায় কাজ করার জন্য শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে হয় না। থাকতে হবে কিছু বাড়তি যোগ্যতাও। এ ব্যাপারে হাতিল ফার্নিচারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (এইচআর-অ্যাডমিন) শামীম অর রশিদ বলেন, ‘মেলায় কাজ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি যোগাযোগের দক্ষতা, উপস্থাপনার কৌশল, স্মার্টনেস, উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিষয়ও খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।’বাণিজ্য মেলায় খণ্ডকালীন নিয়োগের জন্য পত্রিকায় তেমন একটা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় না। ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমেই বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ফেসবুক পেজে, বিভিন্ন চাকরি প্রদানকারী এবং চাকরিপ্রত্যাশীদের গ্রুপগুলোর মাধ্যমে লোক নেওয়া হয়।বাণিজ্য মেলায় এক মাস খণ্ডকালীন চাকরির জন্য কর্মীরা প্রতিষ্ঠানভেদে ১০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এ ছাড়া সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাশতা, রাতের খাবার, প্রতিষ্ঠানভেদে মোবাইল খরচ এবং যাতায়াত খরচও দেওয়া হয়। এর বাইরে কেউ চাইলে এক মাসের কাজের অভিজ্ঞতা সনদও দেওয়া হয়, যা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বা অন্য কোথাও চাকরির ক্ষেত্রে আবেদনপত্রে অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখানো যায়।২৫০ জন সেলস এক্সিকিউটিভ নেবে আরএফএল গ্রুপ: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার জন্য আরএফএল গ্রুপ ইতিমধ্যে ২৫০ জন খণ্ডকালীন সেলস এক্সিকিউটিভ নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে।এইচএসসি পাস হলেই এ পদে আবেদন করা যাবে। ২০ থেকে ৩০ বছরের নারী ও পুরুষ পদটিতে আবেদন করতে পারবে। প্রার্থীকে শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে জানতে হবে এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হতে হবে। চাপের মধ্যে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে www.jagojobs.com মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে https://www.jagojobs.com/sales-marketing/66461 লিংকে।বিক্রয়কর্মী নেবে বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড: ঢাকা বাণিজ্য মেলায় কাজ করার জন্য বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড কিছুসংখ্যক চুক্তিভিত্তিক বিক্রয়কর্মী নেবে। আগ্রহী ব্যক্তিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম যেকোনো বিষয়ে স্নাতক পাস হতে হবে। নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং ওজন ৭০ কেজি হতে হবে। অন্যদিকে, নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি ও ওজন ৬০ কেজি হতে হবে। প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ২৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। ইংরেজি ও বাংলায় ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।প্রার্থীদের সিওও, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড বরাবর বক্স নং DIFT 19, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড, সিটি সেন্টার, লেভেল ১৫, ১০৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা–১০০০, এই ঠিকানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। অথবা ই-মেইল করা যাবে ditf19@butterfly-lg.com এই ঠিকানায়। আবেদন করা যাবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত।২৫ জন বিক্রয় প্রতিনিধি নেবে হাতিল ফার্নিচার: বাণিজ্য মেলায় কাজ করার জন্য ২৫ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করবে হাতিল ফার্নিচার। যোগ্যতা থাকতে হবে যেকোনো বিভাগ থেকে স্নাতক পাস। বয়স হতে হবে ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীরাই আবেদনের সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (এইচআর-অ্যাডমিন) শামীম অর রশিদ জানান, ‘আমরা আমাদের স্টলে কাজ করার জন্য শিক্ষার্থীদেরই বেশি অগ্রাধিকার দিই। মেলায় যারা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারে, তাদের আমরা স্থায়ী কর্মী হিসেবেও নিয়োগ করি।’আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে বিডি জবসের মাধ্যমে। আবেদন করা যাবে ৩০ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত। | 383,412 |
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জুন ২০১৭, ২২:১৮ | ২৬ জুন ২০১৭, ২২:১৯ | জুড়ী,মৌলভীবাজার,অপরাধ | null | মুদি দোকানে ভিজিএফের ৭ বস্তা চাল! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1231191 | মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় মুদি দোকান থেকে গতকাল রোববার রাতে প্রায় সাত বস্তা (প্রতিটি বস্তা ৫০ কেজি ওজনের) ভিজিএফের চাল জব্দ করেছে পুলিশ। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থ লোকজনের মধ্যে বিতরণের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে এ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের রাঙ্গিছড়া বাগান এলাকার সন্ন্যাসী নাইডু নামের এক মুদি দোকানির দোকানে রোববার দুপুরের দিকে ভিজিএফের কিছু চাল মজুত করা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টার দিকে পুলিশের একটি দল ওই দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় দোকানটির ভেতরে ৫০ কেজির ছয় বস্তা এবং প্রায় ২৫ কেজির খোলা এক বস্তা চাল পাওয়া যায়। পরে পুলিশ এসব চাল জব্দ করে সন্ন্যাসী নাইডুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতেই সন্ন্যাসীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ছয়জন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, এসব চাল সন্ন্যাসীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। খোলা বস্তা থেকে তিনি এক-দুই কেজি করে চাল স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করেন।সন্ন্যাসী নাইডু আজ সোমবার (২৬ জুন) রাত আটটার দিকে মুঠোফোনে বলেন, ‘জমির মেম্বার (সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জমির আলী) বেলা দুইটার দিকে সাত বস্তা চাল দোকানে পাঠান। পাশের ভালাইমা পুঞ্জিতে (খাসিয়া সম্প্রদায়ের বসতি) ওই চাল বিতরণের কথা ছিল। পুঞ্জির লোকজন দোকানে একটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে যাওয়ায় তা পাঠানো সম্ভব হয়নি। রাতে পুলিশ এসে চাল সিজ (জব্দ) করে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ছেড়ে দিছে। আমি কারও কাছে চাল বেচিনি।’বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ইউপি সদস্য জমির আলীর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।সদর ইউপির চেয়ারম্যান নারগিস আক্তার বলেন, ভালাইমা পুঞ্জিতে বিতরণের জন্য ইউপি সদস্য জমির আলী সাত বস্তা চাল নিয়ে যান। কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম মুঠোফোনে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্ন্যাসীর জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে চাল জব্দ করা আছে। ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে। তাঁর (ইউএনও) কাছ থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইউএনও চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী বলেন, জব্দ করা চাল উপজেলা প্রশাসন থেকে সদর ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপি কার্যালয়ে চাল বিতরণের নিয়ম। ঈদের পর তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 322,988 |
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ আগস্ট ২০১৬, ১৫:২৮ | ০৫ আগস্ট ২০১৬, ১৫:৩০ | বাঞ্ছারামপুর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,দুর্ঘটনা | 0 | ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/936652 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মো. আক্তার হোসেন (৪৮) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কলেজ রোডের তিতাস ইউনিটি হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কলেজ রোড দিয়ে কোমল পানীয়বোঝাই একটি ট্রাক (ফেনী-ট-০২-০০০২) দুর্গারামপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় আক্তার হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রাকটি দ্রুতগতিতে অতিক্রম করার সময় রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে ট্রাকের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে ট্রাকচালকের সহযোগিতায় এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। পথে উপজেলার ছয়ানী এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংশু কুমার দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন। | 246,648 |
বিশেষ প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র | international | আন্তর্জাতিক | ২৩ জুলাই ২০১৬, ১২:৫৭ | ২৩ জুলাই ২০১৬, ১৩:১৮ | জাতিসংঘ | 0 | জাতিসংঘের মহাসচিব দৌড়ে এগিয়ে পর্তুগালের গুতিরেস | http://www.prothom-alo.com/international/article/922879 | জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রথম ‘স্ট্র পোল’ বা অনানুষ্ঠানিক ভোটে অংশ নিয়েছে।ভোটের দিক থেকে এগিয়ে থাকা তিনজন হলেন পর্তুগালের আন্তোনিও গুতিরেস, স্লোভেনিয়ার দানিলো তুর্ক ও বুলগেরিয়ার ইরিনা বুকোভা। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই ভোটে পরিষদের ১৫ সদস্য ‘উৎসাহী’, ‘উৎসাহী নয়’ ও ‘কোনো মতামত নেই’—এইভাবে মতামত প্রকাশ করে।এই ভোটের ফলাফল কী, তা অবশ্য পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়নি। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক রাষ্ট্রদূত সে ফলাফল যাঁর যাঁর দেশের তথ্যমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেন।যাঁরা আশা করছিলেন জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হবেন একজন নারী, তাঁরা এই ফলাফলে হতাশ হয়েছেন। মোট ১২ প্রার্থী এই পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন নারী।প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, পরবর্তী মহাসচিব পূর্ব ইউরোপ থেকে আসার কথা। তবে সে নিয়ম এ বছর মানা হবে কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এর আগে যুক্তরাজ্য একজন নারী মহাসচিবের দাবি তুললেও সাম্প্রতিক সময়ে সে দাবি থেকে তারা সরে এসেছে।এই অনানুষ্ঠানিক ভোটের লক্ষ্য, মোট প্রার্থীর সংখ্যা দুই বা তিনে নামিয়ে আনা। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ভোটে বিজয়ী প্রার্থীকে মহাসচিব হিসেবে সুপারিশ করা হবে। সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যের ভোটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তী মহাসচিব পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। | 242,504 |
-1 | opinion | মতামত | ২৫ মে ২০১৭, ০১:২৯ | ২৫ মে ২০১৭, ০১:৩০ | সম্পাদকীয়: | 0 | পাবনা চিনিকল | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1191886 | পাবনা চিনিকল এক উদ্ভট পরিস্থিতির মুখোমুখি। সেখানকার গুদামে ৪ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন চিনি জমে আছে। এই চিনির প্রতি কেজি উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ২৯৯ টাকা, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে সরকার-নির্ধারিত ৬০ টাকা কেজি দরে। এভাবে যে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান টিকতে পারে না, তা বলাই বাহুল্য।এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে চিনি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় আখের অভাবে। এই চিনিকল ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এই কারণে যে, পাবনা অঞ্চলের চাষিরা প্রচুর আখ চাষ করতেন। প্রথম দিকে এটি লাভজনক হয়েছিল। কিন্তু এখন এই চিনিকল চালাতে প্রতিবছর ৩৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। কারণ, চাষিরা এখন আখের বদলে নানা জাতের সবজি ও ফলের চাষ করেন। চিনিকলটির বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টন, কিন্তু আখের অভাবে গত বছর উৎপাদিত হয়েছে মাত্র ২ হাজার ১৪৬ মেট্রিক টন। কিন্তু স্থায়ী ও মৌসুমি মিলিয়ে এই চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা মোট ৮৭২। শুধু তাঁদের বেতন দিতেই মাসে ৯০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়। অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে চিনির উৎপাদন ব্যয় দাঁড়ায় অত্যধিক।সুতরাং, বর্তমান অবস্থায় এই চিনিকল আর চলতে পারে না। একে চালু রাখতে হলে ব্যাপকভাবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। সে জন্য যে পরিমাণ আখের প্রয়োজন, তা চাষ করতে প্রয়োজন হবে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার একর জমি। কিন্তু চাষিদের আখচাষ কমতে কমতে এখন প্রায় সাড়ে তিন হাজার একরে নেমে এসেছে। আখ যেহেতু সারা বছরের ফসল, তাই তা চাষ করা আর মোটেও লাভজনক নয়। সুতরাং, চাষিদের আখ চাষে উৎসাহিত করার কোনো সুযোগ নেই।এটা পরিষ্কার যে শুধু আখের ওপর নির্ভর করে পাবনা চিনিকল আর চালানো যাবে না। চিনি উৎপাদনের বিকল্প উৎস অন্বেষণ করতে হবে। তা ছাড়া কারখানাটির বিদ্যমান স্থাপনা বহুমুখী কাজে ব্যবহার করা যায় কি না, তা-ও ভেবে দেখা যেতে পারে। যেমন কারখানার দুটি বয়লারের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে দেওয়া যেতে পারে, বিদেশ থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনও করা যেতে পারে।মোট কথা, পাবনা চিনিকল নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এভাবে আর চলবে না। | 319,642 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১০ এপ্রিল ২০১৫, ০১:২০ | ১০ এপ্রিল ২০১৫, ০১:২১ | এশিয়া | 0 | এভারেস্টের নিচ দিয়ে রেলপথ করবে চীন! | http://www.prothom-alo.com/international/article/499588 | বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেলপথ নির্মাণের কথা ভাবছে চীন। ওই রেলপথ নেপাল ও চীনকে যুক্ত করবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র চায়না ডেইলি গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।চীনের তিব্বতের রাজধানী লাসা এবং অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইতিমধ্যে ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ রয়েছে। ‘নেপালের অনুরোধে’ এটি সম্প্রসারণ করে আন্তর্জাতিক সীমানা পর্যন্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। চীনের প্রকৌশল একাডেমির একজন বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে চায়না ডেইলি পত্রিকা। তিব্বতের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে ওই রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গত ডিসেম্বরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু সফর করেন। নেপালের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, তিব্বতের সঙ্গে প্রস্তাবিত রেলপথটি পরবর্তী সময়ে কাঠমান্ডু থেকে শুরু করে আরও দূর অবধি সম্প্রসারণ করা হতে পারে। এতে করে চীনের সঙ্গে ভারতীয় বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। চায়না ডেইলি জানায়, ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এভারেস্টের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ওয়াং মেংশু বলেন, রেলপথটি কোমোলাংমা (এভারেস্টের তিব্বতি নাম) এলাকার ভেতর দিয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খনন করতে হতে পারে।তিব্বত-নেপাল রেলপথ নির্মাণের এ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে হিমালয়কন্যা নেপালের ওপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধির বিষয়টিই স্পষ্ট হলো। বিষয়টি নেপালের প্রতিবেশী ভারতের জন্য সতর্কবার্তা বলে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ, নেপালকে নিজ প্রভাববলয়ের অন্তর্ভুক্ত বলেই মনে করে ভারত। সাগর ভরছে চীন: রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপ এলাকায় একটি নিমজ্জিত প্রবালপ্রাচীরের আশপাশের এলাকা দ্রুত ভরাট করছে। এর কাছেই ফিলিপাইনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা নতুন ছবিতে অনেকগুলো ড্রেজার এ কাজ করছে বলে দেখা যায়। দক্ষিণ চীন সাগরের ওই দ্বীপ এলাকা নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর অনেক দিনের বিরোধ রয়েছে। | 130,260 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:২০ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:২১ | খেলা | 0 | বিমানের বিকল্প নৌবাহিনী! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/702370 | ১৯৭৭ সালে লিগের শুরু থেকেই দাবায় ছিল বাংলাদেশ বিমানের আধিপত্য। আশির দশকের শুরু থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ঘুরেফিরে হয় চ্যাম্পিয়ন না হয় রানার্সআপ হয়েছে বিমান। কিন্তু দাবায় ধারাবাহিকভাবে বিমানের মতো সাফল্যের কাহিনি লিখতে পারেনি আর কোনো দল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নৌবাহিনী চেষ্টা করছে বিমানের জায়গাটা নেওয়ার।আগামী পরশু শুরু প্রিমিয়ার দাবা লিগেও যথারীতি শক্তিশালী দলই গড়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর দলটি। অথচ আরেক বড় দল মোহামেডান সব রকম প্রস্তুতি নিয়েও শেষ মুহূর্তে দলই গড়েনি! তাদের আইকন দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ যোগ দিয়েছেন নতুন ক্লাব শেখ রাসেল স্মৃতি স্পোর্টিং ক্লাবে। মোহামেডান না থাকায় দশ দলের লিগটি এবার হচ্ছে নয় দলের।নৌবাহিনীতে আছেন গ্র্যান্ডমাস্টার আবদুল্লাহ আল রাকিব ও এনামুল হোসেন রাজীব। মোহামেডান ছেড়ে এবার নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। শক্তি বাড়াতে তাঁদের সঙ্গী বর্তমান জাতীয় চ্যাম্পিয়ন আন্তর্জাতিক মাস্টার মিনহাজউদ্দিন আহমেদ সাগর।২০১২ সালে দুরন্ত রাজশাহী নামে প্রথম প্রিমিয়ার লিগে খেলে নৌবাহিনী। এরপর থেকে নৌবাহিনী নামে অংশ নিয়ে ২০১৩ সালে রানার্সআপ হয়। ওই বছর বাংলাদেশ গেমসে জেতে রুপা। গত লিগের চ্যাম্পিয়ন নৌবাহিনী এবারও চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। এই দলের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান বললেন, ‘আমরা তিন জিএম ছাড়াও দলে আছে বর্তমান জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। এবারের দলটা তাই খুব শক্তিশালী হয়েছে। এবারও চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’তবে কি ধীরে ধীরে বিমানের জায়গাটা নৌবাহিনী নিতে যাচ্ছে? জিয়ার উত্তর, ‘নৌবাহিনী দাবাড়ুদের জন্য যথেষ্ট করছে। শুধু সেরা দাবাড়ুদেরই নয়, মাঝারি মানের খেলোয়াড়দেরও চাকরি দিয়েছে। বিমানের একটা ভালো বিকল্প হতে যাচ্ছে নৌবাহিনী।’ | 180,244 |
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ মার্চ ২০১৬, ০১:০৪ | ২৯ মার্চ ২০১৬, ০১:০৪ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | নান্দাইলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/812989 | ময়মনসিংহের নান্দাইলে সাত বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।শিশুটির মা অভিযোগ করেছেন, মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামরুল (২০) তাঁর মেয়েকে পুতুল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাঁর (কামরুল) ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে অপর এক শিশু ওই দৃশ্য দেখে তাঁকে (শিশুর মাকে) খবর দেয়। তিনি কামরুলের বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখতে পান, তাঁর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির দিকে আসছে। এ সময় তিনি মেয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে বাড়িতে চিকিৎসা করান। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় শনিবার রাতে তিনি মেয়েকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা শিশুটির উন্নত চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন।এ বিষয়ে শিশুটির মা রোববার রাতে নান্দাইল মডেল থানায় কামরুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছেন।এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গতকাল সোমবার কামরুলদের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি।নান্দাইল মডেল থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, মামলা হওয়ার পর শিশুটিকে রাতেই চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। অভিযুক্ত যুবককে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে। | 215,209 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৫ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৮ | অপরাধ | 0 | সাত গাড়িতে পেট্রলবোমা, আগুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/445423 | বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির ৩২তম দিন ছিল গতকাল শুক্রবার। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বাস, ট্রাকসহ সাতটি যানবাহনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর মধ্যে ফেনীতে কাভার্ড ভ্যানে ছোড়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছেন চালকের সহকারী।এদিকে অবরোধের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের গুলি ও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। রাজশাহীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্যবিষয়ক সম্পাদক শাহবুদ্দিন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ছাত্রশিবিরের উপজেলা শাখার সভাপতি সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারী ও যশোরে পুলিশের গুলিতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শহিদুল ইসলাম।রাজশাহী ও কুমিল্লায় ছাত্রশিবিরের নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলায় আগামীকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ছাত্রশিবির।৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে টানা এই অবরোধ কর্মসূচি চলছে। তবে এর দুই দিন আগেই সহিংসতার শুরু। সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬৯ জন। আহত সহস্রাধিক। আগুন দেওয়া হয়েছে ৪৬৩টি যানবাহনে এবং ভাঙচুর করা হয় আরও ৪৯০টি। নাশকতার আশঙ্কায়, সহিংসতায় জড়িত সন্দেহে এবং মামলা ও অন্যান্য ঘটনায় আটক বা গ্রেপ্তার করা হয় ৯১ ব্যক্তিকে।অবরোধে ঢাকার বাইরের চিত্র: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সবরিতলা এলাকায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে গতকাল সকালে সিমেন্টবোঝাই দুটি ট্রাকে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এতে ট্রাক দুটির সামনের অংশ পুড়ে গেলেও কেউ আহত হননি। খুলনা থেকে দুটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক গাইবান্ধায় যাচ্ছিল। ট্রাক দুটি সকাল সাড়ে আটটার দিকে সবরিতলা এলাকায় পৌঁছালে অবরোধকারীরা পথরোধ করে। তারা চালক ও তাঁর সহকারীদের নামিয়ে দিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর রামপুর এলাকায় গতকাল সকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে পেট্রলবোমা ছোড়ে অবরোধকারীরা। এতে কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ পুড়ে যায় এবং চালকের সহকারী বাচ্চু হাওলাদার (২৮) দগ্ধ হন। তাঁর মুখমণ্ডল ও দুই হাতের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে ফেনী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। তাঁর বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পটিয়াখালী গ্রামে।বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। তবে এ সময় বাসের ভেতর চালক কিংবা সহকারী কেউ না থাকায় কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেটের লালাবাজারে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাথরবোঝাই একটি ট্রাকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকে আগুন ধরে গেলে চালক ও তাঁর সহকারী লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্য ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার-সোনাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের চরপোড়াগাছা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা ভুলুয়া খালের স্টিল ব্রিজের দুটি প্লেট খুলে ফেলে। স্থানীয় লোকজন জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে প্রায় চার ঘণ্টা ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবার প্লেটগুলো স্থাপন করে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের ভবানীপুর গ্রামে এখলাছুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে দুইটার দিকে পোড়া গন্ধ পেয়ে এখলাছুর রহমান ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। পরে দরজা খুলে বারান্দার এক কোণে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার দেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় বারান্দার বাইরে প্লাস্টিকের ব্যাগে লাউগাছের পাতা দিয়ে ঢাকা পেট্রলভর্তি পাঁচ লিটারের একটি প্লাস্টিকের বোতলসহ এক লিটারের খালি আরেকটি বোতল পাওয়া যায়। আগুনে কিছু আসবাব ও বিদ্যুতের মিটার পুড়ে গেছে।এখলাছুর আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন দলের উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভবানীপুরের বাসিন্দা শফিক আহমদ।জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদুর রহমান সিদ্দিকী গতকাল জানান, ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার জের ধরে নাকি অন্য কোনো কারণে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। [প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা} | 113,306 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জুলাই ২০১৪, ০১:১৭ | ১২ জুলাই ২০১৪, ০১:১৮ | কুড়িগ্রাম,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | কুড়িগ্রামে তিন শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/265222 | ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুরে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত তিন সপ্তাহে তিন শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে।সদর উপজেলার চর যাত্রাপুরে নদের পাড়ের বাসিন্দা সরাফত উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘কোন দিন ভাববার পাই নাই হামার বাড়ি ভাঙবে। বুধবার বাড়ি সরায় নিছি। নিজের জমি নাই। একজনের জমিত উঠছি।’গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নদের তীব্র স্রোতে পাড়ে মাটির বড় বড় চাঁই ভেঙে পড়ছে। সদর উপজেলার চরযাত্রাপুর থেকে পাঁচগাছি ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন চলছে। নদের পাড়ের গ্রামের অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত। যাত্রাপুর হাট ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যাবে।কাছেই আবেদ আলী (৪৫) বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেক গাছ মাটিতে পড়ে আছে। গৃহবধূ আমেনা বেগম (৩৫) বলেন, ‘তিন বছর আগে বাড়ি থাকি নদ দুই কিলোমিটার দূরে আছিল। সরকার চেষ্টা করলে ঠেকপার পারিল হয়। করে নাই।’ এখানে উপস্থিত সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (ইউপি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে আমার পাকা বাড়ি ভেঙে নিয়ে গেছি। চরযাত্রাপুরে ৩০০ পরিবার ছিল এদের মধ্যে শতাধিক পরিবার অন্যত্র চলে গেছে।’স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলাতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা জরুরি কাজের নামে ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। ঠিকাদার বস্তায় বালু ভরছে। তিন সপ্তাহ আগে এ বস্তা পাড়ে ফেললে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রক্ষা পেত। এখন পানি বাড়ছে। এখন ফেলবে। কোনো লাভ হবে না। টাকা পানিতে যাবে।ব্যবসায়ী আবদুস সোবান ব্যাপারী বলেন, নদ যেভাবে এগিয়ে আসছে তাতে হাটটি ভাঙা সময়ের ব্যাপার মাত্র। চরযাত্রাপুর থেকে দক্ষিণ দিকে ঘনশ্যামপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন চলছে। এর মধ্যে রয়েছে চরপার্বতীপুর, ফরাজী পাড়া, বলদিপাড়া ও গারুহারা।ফরাজী পাড়ার আবদুস ছালাম বলেন, ‘নদের ভাঙনরোধে আমরা মিছিল-মিটিং ও মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্মারকলিপি দিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এলাকাগুলো বিলীন হতে চলেছে।’যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর বলেন, ‘গত তিন সপ্তাহে এ এলাকার তিন শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’এ প্রসঙ্গে পাউবো উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, ‘টাকা না থাকায় যাত্রাপুরে কাজ করতে পারছি না। ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি, বরাদ্দ না পেলে আমরা কি করতে পারি। তার পরও বিদ্যালয়ের ভাঙন ঠেকাতে জরুরিভিত্তিতে ঠিকাদারকে বালু ভরে রাখতে বলেছি।’ | 77,073 |
-1 | opinion | মতামত | ১৭ মার্চ ২০১৬, ০০:০৪ | ১৭ মার্চ ২০১৬, ০০:০৪ | চিঠিপত্র,মতামত | 0 | এনআইডি সার্ভার | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/801007 | যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি কোথায় কোন কোন কাজে ব্যবহার করেছেন? তাহলে হয়েতো অনেকেই সঠিক উত্তর দিতে পারবেন না।এটি মনে রাখা যেমন কঠিন, তার চেয়েও বেশি কঠিন তথ্যটি খুঁজে বের করা। কারণ এনআইডি সার্ভার সরকারি-বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান (যেমর: বিমানবন্দর, ব্যাংকসমূহ এবং মোবাইল ফোন আপারেটরসমূহ) ব্যবহার করলেও যঁাদের তথ্য দ্বারা এটি সমৃদ্ধ হয়েছে, সেই নাগরিকই এই তথ্যের সুবিধা হতে বঞ্চিত।একজন এনআইডিধারীর কোনোভাবেই জানার উপায় নেই, তাঁর আইডি কার্ড নম্বরটি কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে। এনআইডি সার্ভারেও সুযোগটি রাখা হয়নি। সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা যখন নাগরিকের আইডি কার্ড গ্রহণ করে তা নিজেদের সার্ভারে ইনপুট দিচ্ছে, তখন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনআইডি সার্ভারের সঙ্গে মার্জ করে দেওয়া উচিত।এনআইডি সার্ভারে প্রত্যেক কার্ডধারীর জন্য একটি লগইন ব্যবস্থা থাকা উচিত, যেখানে লগইন করে তিনি নিজের আইডি কার্ডের বৃত্তান্ত দেখতে পারবেন। এতে করে একজনের তথ্য অন্যজন দেখতে পাবেন না, কিন্তু নিজের তথ্য নিজে যাচাই করার সুযোগ থাকবে।সাজ্জাদ হোসেন, ঝিনাইদহ। | 211,701 |
-1 | sports | খেলা | ১৫ জুন ২০১৮, ১৫:২৯ | ১৯ জুন ২০১৮, ১৪:২৬ | ক্রিকেট,আফগানিস্তান,ভারত | null | টেস্ট কী হাড়ে হাড়ে বুঝল আফগানিস্তান! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1510626 | টেস্ট? সহজ বাংলায় পরীক্ষা। পশতু-ফারসি-উর্দুতে কী বলে সেটা রশিদ-মুজিবরাই ভালো জানবেন। তবে টেস্টের আসল মানে নতুন করে বুঝছে তাঁদের দল। অভিষেক টেস্টটা হেরে গেল মাত্র দুদিনে। বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেল ১০৩ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৭ ওভার ব্যাটিং করার পর প্রশ্নটা উঠতেই পারে, আফগানদের কি একটু আগেই টেস্ট স্ট্যাটাস দিয়ে ফেলেছে আইসিসি? নিজেদের দ্বিতীয় সারির একাদশ নিয়েও ভারত ম্যাচ জিতেছে ইনিংস ও ২৬২ রানের ব্যবধানে।এর আগে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ভারত থেমেছিল ৪৭৪ রানে। ৩৬৫ রানের লিড ছিল, তবে আফগানদের গুটিয়ে দিতে ২৮ ওভারও লাগেনি বলে বোলারদের হাতে আরও একবার বল তুলে দিয়েছেন অজিঙ্কা রাহানে। এবার ৩৯ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারল আফগানরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১২ রান করেছে তারা। টেস্ট অভিষেকে দুই ইনিংস মিলিয়ে এটিই সবচেয়ে কম রান তোলার রেকর্ড!দুই দিনেই টেস্ট শেষ হবে—এ আলামত আফগানরাই দিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ওভারের মধ্যে ফিরে এসেছিলেন প্রথম চার ব্যাটসম্যান। পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট মিলিয়ে ৫৭ রান যোগ করে কিছুটা প্রতিরোধ তারা গড়তে পেরেছিল। সম্ভাবনা জাগিয়েছিল খেলা তৃতীয় দিনে টেনে নেওয়ার। কিন্তু সেই সম্মানটুকুও পেল না।বল হাতে ভারতের গল্পটা প্রথম ইনিংসের মতোই। প্রথমে পেসারদের ধাক্কা। আর তাতে টালমাটাল আফগানদের স্পিন বিষে নীল করে দেওয়া। আজ শুরুর দিকে টানা তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন উমেশ যাদব। চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। এরপর স্পিনারদের রাজত্ব। পার্থক্য হলো, প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। এবার ৪ উইকেট নিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম ইনিংসেও প্রথম চার ব্যাটসম্যানের তিনজনই ছিলেন পেসারদের শিকার। প্রথম উইকেটটা পড়েছিল রান আউটের খাঁড়ায়।অশ্বিন জহির খানকে টপকে টেস্টে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে গেছেন এ ম্যাচে। প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানের এক ব্যাটসম্যানই কেবল ২০ রানের বেশি করতে পেরেছেন। সে-ও এসেছে সাতে নামা মোহাম্মদ নবীর ব্যাট থেকে। নবীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেছেন ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান মুজিব-উর রহমান। ইনিংসের একমাত্র ছক্কাও তাঁর ব্যাটে। আফগানরা অবশ্য প্রথম ইনিংসে ১৮টি চার মেরেছে।চার-ছক্কা থেকে এসেছে ৭৮ রান। বাকি ৩১ রান তারা নিয়েছে দৌড়ে। টেস্ট ক্রিকেট কতটা কঠিন, এখান থেকেও বোঝা যায়। আফগান ব্যাটসম্যানরা খুব কম সময়ের জন্যই স্বস্তিতে ছিল। অশ্বিনের বলে পর্যন্ত ভূপাতিত হয়েছেন একজন। পেসারদের ভেতরে ঢোকানো আড়াআড়ি ডেলিভারিগুলো খেলতেই পারছিলেন না। বল ঠেকাতে বা ছাড়তে পারাও টেস্ট ক্রিকেটের যোগ্যতা। কখনো কখনো তা বাউন্ডারি হাঁকানোর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন আফগান ব্যাটসম্যানেরও রক্ষণাত্মক গুণ দেখা গেল না।শেষমেশ তারা চলে গেল ‘টি-টোয়েন্টি মোডে’। এই ক্রিকেটটাই তারা ভালো বোঝে কি না! কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। মাত্র ১৭ ওভারে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান মূলত নবী ও মুজিবের ওই দুই ইনিংসে শেষ চার উইকেটে ৫০ রান যোগ করতে পেরেছে। না হলে টেস্ট অভিষেকে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় তারা পড়তেই বসেছিল! ১৮৮৯ সালে টেস্ট অভিষেকে ৮৪ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানরা শুরুটা করেছিল বেশ সতর্কভাবে। বিনা উইকেট ১৯ রান তুলেও ফেলেছিল। এরপর ৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট নেই! হাশমতুল্লাহ আর স্টানিকজাইয়ের মাঝখানের ওই প্রতিরোধটুকু বাদে আর কোনো লড়াই নেই। একবারও মনে হয়নি, টেস্ট খেলছে আফগানরা। সেই মননটাই তৈরি হয়নি টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডের চমক জাগানো এই দলটির। সামনে হাঁটতে হবে বিস্তর পথ। ভারত ১ম ইনিংস: ৪৭৪/১০আফগানিস্তান ১ম ইনিংসরানবল৪৬শাহজাদ রান আউট (পান্ডিয়া)১৪১৮৩০জাভেদ ব ইশান্ত১৮০০রহমত এলবিডব্লু উমেশ১৪১৫২০আফসার ব ইশান্ত৬১০১০হাশমাতুল্লাহ এলবিডব্লু উমেশ১১২৪২০স্টানিকজাই ব অশ্বিন১১১৪২০নবী ক ইশান্ত ব অশ্বিন২৪৪৪৪০রশিদ ক উমেশ ব জাদেজা৭১৪১০ইয়ামিন ক জাদেজা ব অশ্বিন০৯০০মুজিব স্টা কার্তিক ব জাদেজা১৫৯২১ওয়াফাদার অপরাজিত৬২১০অতিরিক্ত০ মোট ২৭.৫ ওভারে অলআউট১০৯ উইকেট পতন: ১-১৫, ২-২১, ৩-৩৫, ৪-৩৫, ৫-৫০, ৬-৫৯, ৭-৭৮, ৮-৮৭, ৯-৮৮, ১০-১০৯বোলিং: উমেশ ৬-১-১৮-১, ইশান্ত ৫-০-২৮-২, হার্দিক ৫-০-১৮-০, অশ্বিন ৮-১-২৭-৪, জাদেজা ৩.৫-১-১৮-২ আফগানিস্তান ২য় ইনিংস (ফলোঅন)রানবল৪৬শাহজাদ ক কার্তিক ব উমেশ১৩১৭৩০জাভেদ ক ধাওয়ান ব উমেশ৩১১০০রহমত ক রাহানে ব ইশান্ত৪৬০০নবী এলবিডব্লু উমেশ০৪০০হাশমাতুল্লাহ অপরাজিত৩৬৮৮৬০স্টানিকজাই ক ধাওয়ান ব জাদেজা২৫৫৮৪১আফসার ব জাদেজা১৯০০রশিদ ব জাদেজা১২৯১০ইয়ামিন ব ইশান্ত১১৫০০মুজিব ক উমেশ ব জাদেজা৩৮০০ওয়াফাদার ব অশ্বিন০৭০০অতিরিক্ত (বা ৪, লেবা ১)৫ মোট ৩৮.৪ ওভারে অলআউট১০৩ উইকেট পতন: ১-১৯, ২-২২, ৩-২২, ৪-২৪, ৫-৬১, ৬-৬২, ৭-৮২, ৮-৮৫, ৯-৯৮, ১০-১০৩বোলিং: ইশান্ত ৭-২-১৭-২, উমেশ ৭-১-২৬-৩, হার্দিক ৪-২-৬-০, অশ্বিন ১১.৪-৩-৩২-১, জাদেজা ৯-৩-১৭-৪ফল: ভারত ইনিংস ও ২৬২ রানে জয়ীম্যাচ সেরা: শিখর ধাওয়ান | 367,394 |
-1 | sports | খেলা | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:১৬ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:১৭ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | ভার্ডি-ভক্ত | http://www.prothom-alo.com/sports/article/780064 | চলতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বড় আবিষ্কার কী? একটা উত্তর হতে পারে জেমি ভার্ডি। গত বছর পর্যন্তও আড়ালে থাকা ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারই ১৯ গোল নিয়ে লিগের শীর্ষ গোলদাতা। দেশ ও দেশের বাইরে এখন হাজার হাজার ভক্ত তাঁর। তবে সবচেয়ে বড় ভক্তটির নাম সম্ভবত অ্যাশলি ম্যারিয়ট! আগামী জুনে কন্যাসন্তানের বাবা হবেন অ্যাশলি। সেই মেয়ের নাম রাখতে চান ভার্ডির নামে। ছেলের নামে কন্যার নাম! অ্যাশলির স্ত্রী একটা শর্ত দিয়েছেন স্বামীকে—লেস্টার সিটির পাঁচ হাজার ভক্তের সই জোগাড় করতে পারলেই মেয়ের নাম ভার্ডি রাখা যাবে। সই সংগ্রহের অভিযানে এরই মধ্যে নেমে পড়েছেন অ্যাশলি। সংগ্রহ করেছেন ১২০ জন ভক্তের সই। কাজটা নিশ্চয় কঠিন। কিন্তু পাঁচ হাজার কেন অ্যাশলির বিশ্বাস, ১০ হাজারেরও বেশি সই তিনি সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁর মেয়ের নাম যে ভার্ডি রাখা চাই-ই চাই! ইএসপিএন। | 204,959 |
এএফপি | international | আন্তর্জাতিক | ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩২ | ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৪ | পাকিস্তান | null | জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত কোয়েটা, নিহত ৬১ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1007641 | আড়াই মাসের মাথায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় আবার রক্তাক্ত হলো পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা। গত সোমবার রাতে সেখানকার একটি পুলিশ একাডেমিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬১ জন। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও পাকিস্তান তালেবান।এর আগে গত ৮ আগস্ট কোয়েটার একটি সরকারি হাসপাতালে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ৭০ জন। নিহত ব্যক্তিদের একটি বড় অংশই ছিলেন আইনজীবী ও সংবাদকর্মী। এবার জঙ্গি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো পুলিশ। সোমবার রাতের এই হামলা পাকিস্তানের ইতিহাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো স্থাপনায় সবচেয়ে বড় রক্তাক্ত হামলা।২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর আগ্রাসনের পর থেকেই প্রতিবেশী পাকিস্তান একের পর এক বোমা হামলায় রক্তাক্ত হচ্ছে। কোয়েটার হামলা ছিল এগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিকতম। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের তালেবান এবং সিরিয়া ও ইরাকভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) উভয়ই। তবে দাবির বস্তুনিষ্ঠতা নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাই করা যায়নি।সোমবার রাতের হামলার স্থান ‘বেলুচিস্তান পুলিশ কলেজ’ প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্দুকধারীরা একাডেমি দাপিয়ে বেড়ায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে কোয়েটার দক্ষিণ-পশ্চিমের ওই পুলিশ একাডেমিতে তিনজন বন্দুকধারী ঢুকে নতুন নিয়োগ পাওয়া পুলিশ ক্যাডেটদের রাতযাপনের ভবনগুলোকে নিশানা বানায়। প্রায় ৭০০ জন থাকার উপযোগী ভবনগুলো। অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ভবনে ঢুকতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে ক্যাডেটরা পালাতে শুরু করেন।পুলিশ একাডেমিতে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের তালেবান এবং সিরিয়া ও ইরাকভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসআর্সেলান নামের এক ক্যাডেট বলেন, ‘রাত প্রায় সাড়ে ১১টা। আমরা বসে তাস খেলছিলাম। হঠাৎই শুরু হলো গুলিবর্ষণ। শব্দ শুনে আমরা বিছানার নিচে লুকিয়ে পড়ি।’ আরেক ক্যাডেট বলেন, ‘দেখলাম মুখ ঢাকা ছদ্মবেশী তিন লোক। তাদের সঙ্গে কালাশনিকভ রাইফেল। গুলি করতে করতে তারা ভবনে ঢুকছিল। একটি দেয়াল টপকে আমি পালাতে সক্ষম হই।’বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আনওয়ারউল্লাহ কাকার এএফপিকে বলেন, হামলায় ৬০ জন নিহত ও ১১৮ জন আহত হয়েছেন। তবে হাসপাতাল থেকে দেওয়া নিহতদের তালিকায় ৬১ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কোনো হামলাকারী রয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়।হামলার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ওই একাডেমি ও এর সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এলাকায় টহল দেন নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা কোয়েটার প্রধান হাসপাতালে ভিড় করেন।বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেন, হামলাকারী ছিল মাত্র তিনজন। হামলাকারীরা প্রথমে পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে থাকা প্রহরীর ওপর গুলি চালায়। গুলিবিনিময়ে তিনি প্রাণ হারানোর পর তারা অ্যাকাডেমির ভেতরে প্রবেশ করে।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ আরও বলেন, আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণে দুই হামলাকারী নিজেদের উড়িয়ে দেয়। অপরজন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়।হামলার পরপরই পাল্টা অভিযানে নামে আধা সামরিক সীমান্তবাহিনী। অ্যাকাডেমিতে আটকে পড়া কয়েক শ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী মেজর জেনারেল শের আফগান হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-জাংভিকে (এলইজে) দায়ী করেন। কর্মকর্তারা জানান, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা পাল্টা অভিযানকালে বন্দুকধারীরা বেশ কিছু ক্যাডেটকে জিম্মি করে। আর হামলায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশ ক্যাডেট।এলইজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানি তালেবান এক ই-মেইল বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, মোল্লা দাউদ মনসুরের নির্দেশনায় তাদের চারজন যোদ্ধা এ হামলা চালিয়েছে। সম্প্রতি পাঞ্জাবে লস্কর-ই-জাংভির সদস্যদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার ঘটনার দিকে দৃশ্যত ইঙ্গিত করে এতে আরও বলা হয়, পাঞ্জাবের কারাগারগুলোর বাইরে তাদের মুজাহিদদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিশোধ এ হামলার ঘটনা।অন্যদিকে, আইএসের নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাকের মাধ্যমে এই জঙ্গি সংগঠনটিও এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ-সংক্রান্ত একটি ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। বলেছে, তাদের তিন সদস্য হামলায় অংশ নেয়। | 259,450 |
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৬, ০১:১৪ | ২৮ নভেম্বর ২০১৬, ০১:১৪ | নেত্রকোনা,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | কেন্দুয়ায় হামলায় আহত ৩ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1029365 | নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গত শনিবার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফিরছিল। তারা মামাতো-ফুপাতো বোন। এ সময় ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের ভাই ও সহপাঠীরা ছিলেন। পথে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রীরা খানিকটা এগিয়ে যায়। তখন পৌর এলাকার দিগদাইর এলাকার দুজন বাসিন্দা এক ছাত্রীর স্কার্ফধরে টান দেয়। এ সময় ওই মেয়ের ভাই ও চাচাতো ভাই এর প্রতিবাদ করেন। তখন ওই তরুণেরা তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।গত শনিবার দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে আগের পথ দিয়েই বাড়ি ফিরছিল ছাত্রীরা। পথে পৌর শহরের চালমহাল এলাকায় ওই দুই তরুণ ও তাদের সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক ও লোহার পাইপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছুরি ও হকিস্টিকের আঘাতে ছাত্রীর ভাই ও দুই চাচাতো ভাই আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ছাত্রীর এক চাচাতো ভাইয়ের ডান হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। তাঁকে সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে। আহত তিনজনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। তা ছাড়া অভিভাবকেরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) ঘটনাটি জানান।আহত ব্যক্তিরা বলেন, বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় তাঁদের ওপর এ হামলা করা হয়েছে। তাঁরা এর বিচার চান।এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুস সালাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে রাতেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। | 269,425 |
দীপু মালাকার | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুন ২০১৯, ১৯:৩২ | ২৯ জুন ২০১৯, ১৭:২৭ | ছবির গল্প,রাজধানী,ফার্মগেট,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ | null | রাজধানীতে বীজ মেলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1601658 | ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় বীজ মেলা। এই মেলা চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তন প্রাঙ্গণে শুক্রবার দুপুরে এই মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। মেলায় বাহারি জাতের ফল, সবজি এবং ফসলের নমুনা ও বীজ নিয়ে প্রদর্শনী করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। | 407,786 |
নিউইয়র্ক প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৯:৩৩ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৯:৩৯ | -1 | null | বাংলাদেশে আসছেন মার্কিন ধর্মীয় দূত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1037415 | যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত ডেভিড সুপারস্টাইন বাংলাদেশ সফরে আসছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তিনি ১১ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত সফর করবেন।সফরকালে সুপারস্টাইন সরকার, সুশীল সমাজসহ সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরু ধর্মীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। মার্কিন দূত ভারতের নয়াদিল্লি, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই সফর করবেন। বাংলাদেশে তাঁর সফর শুধু ঢাকায়।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে সারা বিশ্বের ধর্মীয় স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয় নজরে রাখা হয়। প্রতি বছরই বিশ্বের দেশগুলোতে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব প্রতিবেদন দেয়। | 272,994 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৪ এপ্রিল ২০১৬, ১৮:৫৬ | ১৪ এপ্রিল ২০১৬, ১৯:১২ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | আইপিএলের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/830167 | মহারাষ্ট্রের খরায় বেশ ঝামেলা হয়ে গেল এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজনে। এরই মধ্যে স্টেডিয়ামে পানির অপচয় বন্ধ করতে মুম্বাইয়ের আদালত ১৩টি ম্যাচ মহারাষ্ট্র থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের রায় মেনেও নিচ্ছে আইপিএল। ম্যাচগুলোকে কীভাবে আয়োজন করা যায় সেই পথ খোঁজা হচ্ছে। তবে খরার সমস্যার কারণে এভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি আয়োজনে বাধা তৈরি করার পেছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। মহারাষ্ট্র জুড়ে এখন ভীষণ খরা চলছে। চারিদিকে পানির জন্য মানুষের হাহাকার, আর এমন সময়ে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্যালন গ্যালন পানি! এই অপচয় বন্ধ করতেই মুম্বাইয়ের আদালত ৩০ এপ্রিলের পর মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই, পুনে ও নাগপুর ভেন্যুতে অনুষ্ঠেয় ম্যাচগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ২৯ মের ফাইনালসহ এই তিন ভেন্যুতে ৩০ এপ্রিলের পর মোট ১৯টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল, যার মধ্যে ১৩টিই এখন সরিয়ে নিতে হচ্ছে। আয়োজনের মাঝপথে এসে এভাবে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ পাওয়ার পর আইপিএল নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর, ‘আমরা ভালো পানি ব্যবহার করছি না। বরং নর্দমার পানিই শোধন করে ব্যবহার করছি। এখানে কয়টি পাঁচ তারকা হোটেলের সুইমিং পুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে? মানুষ কী তাঁদের ঘরের বারান্দা ধোয়া বন্ধ করে দিয়েছে? এখন এমন একটা সময় এসেছে, যে প্রতিটি ইস্যুতে আমরা নেতিবাচক কিছু খোঁজার চেষ্টা করি। আইপিএলে মাত্র ০.০০০৩৮ শতাংশ পানি ব্যবহার করা হতো। এটা খুব বেশি তো নয়।’খুব বেশি না হলেও আদালতের চোখে খরার মধ্যে এই পরিমাণ পানি ব্যবহারও অপচয়। অবশ্য খরার মধ্যে আইপিএল আয়োজনের বিষয়টি আদালতে গড়ানোর পর থেকেই আইপিএল কর্তৃপক্ষ অনেক বিকল্প পদ্ধতি প্রস্তাব করে আসছিল—সেটি অর্থ সাহায্যই হোক আর বিনামূল্যে পানি সরবরাহ। তবু আদালত আইপিলের বিপক্ষেই রায় দিয়েছেন। আয়োজনের মাঝপথে এসে হঠাৎ এই নির্দেশ নিয়ে কিছুটা বিপাকেই আইপিএল কর্তৃপক্ষ। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটির চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লাও বলেছেন, ‘মূল সমস্যা ছিল কৃষকদের জন্য পানি সরবরাহ করা নিয়ে। এ ব্যাপারে কিছু সমাধানের পথও খুঁজছিলাম। আমরা পানি দিতে চাইছিলাম, মূখ্যমন্ত্রীর তহবিলে অর্থ দিতে চেয়েছিলাম। এখন এভাবে ম্যাচ সরিয়ে নিলে ঝামেলা হয়ে যাবে। যদি ম্যাচ সরাতে হয়, তাহলে কোথায় সরিয়ে নেব, কীভাবে সরিয়ে নেব, এই বিষয়গুলোও ভাবতে হবে।’ আইপিএলের সূচি চূড়ান্ত হওয়ার এতদিন পর কেন এই প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই প্রশ্ন শুক্লার, ‘সবকিছু হচ্ছে এখন, অথচ কিছুদিন আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৪টি ম্যাচ হয়ে গেল তখন কেউ কিছু বলেনি। ছয় মাস আগেও সবাই চুপ ছিলেন। যা কিছু করার ছিল, আমরা করতে চেয়েছি। সত্যি বলতে, আরও অনেক খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে মহারাষ্ট্রে, যেগুলোতে পানির ব্যবহার হচ্ছে। সেগুলোও তাহলে বন্ধ করে দিন। চিনির ফ্যাক্টরিতে পানি লাগে, নির্মাণ কাজে পানি লাগে। সবগুলো গলফ কোর্স তো প্রচুর পরিমান পানি ব্যবহার করে। সেগুলো নিয়ে কিছু হচ্ছে না।’ষড়যন্ত্রের দাবি করছেন, ঝামেলার কথাও উঁচুগলায় জানিয়ে দিচ্ছেন। তবে সেসবই অন্যদের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশের প্রতি অবশ্য যথাযথ সম্মান রাখছেন রাজীব। নির্দেশ বাস্তবায়নের পথও খুঁজছেন, ‘এখনও লিখিত আদেশ আমরা পাইনি। পাওয়ার পর সেটি ভালোভাবে বুঝে নিয়ে বিকল্প কোনো পথ খুঁজে বের করব। আমরা সব সময়ই আদালতকে সম্মান করি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। মহারাষ্ট্রের ১৯ ম্যাচের মধ্যে ১৩টি সরিয়ে নিতে হবে, এসব নিয়ে এখন কাজ করতে হবে।’ সূত্র: এনডিটিভি। | 220,112 |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৪০ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৪১ | আদমদীঘি,বগুড়া,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/145102 | বগুড়ার আদমদীঘিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। আটক ব্যক্তির নাম আতিকুর রহমান। বাড়ি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভুইপুর গ্রামে। সকালে আতিকুর একজন সঙ্গী নিয়ে কুন্দুগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে সিআইডির সহকারী কমিশনার পরিচয় দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা চান। | 50,783 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ মে ২০১৯, ১২:৫৩ | ১৮ মে ২০১৯, ১৩:৫২ | সরকার,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস,উড়োজাহাজ | null | বিমানের বহরে ৫ম বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1594174 | বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যোগ হয়েছে একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে এটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।এ নিয়ে বিমানবহরে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজের সংখ্যা এখন ৫। সব মিলিয়ে বিমানবহরে মোট উড়োজাহাজ এখন ১৪টি। তবে ৮ মে ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় বিমানের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি আর উড়তে পারবে না। তাই ১৩টি উড়োজাহাজ দিয়েই ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে বিমানকে।কুয়েতের উড়োজাহাজ লিজদাতা প্রতিষ্ঠান আলাফকো থেকে সংগৃহীত বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটি গতকাল রাত ৩টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, নতুন উড়োজাহাজ আসার ফলে বিমানের ফ্লাইট শিডিউল রক্ষা করা যাবে। মিয়ানমারে দুর্ঘটনার পর অভ্যন্তরীণ রুটে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল, সেটি আর থাকবে না। দুটি ড্যাশ-৮ দিয়ে আটটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ চলবে।বিমানের ১৪টি উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান কিনেছে বোয়িং কোম্পানি থেকে। বাকি তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৩টি ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজ লিজে সংগ্রহ করা।আজ বহরে আসা বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি কুয়েতের উড়োজাহাজ লিজদাতা প্রতিষ্ঠান আলাফকো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠান থেকে আগামী জুন মাসে আরও একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ আনছে বিমান। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে বিমানের কেনা আরও দুটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দেশে আসছে। অন্যদিকে, কানাডা থেকে কিনে আনা আরও তিনটি ড্যাশ-৮ আগামী বছর বিমানবহরে যুক্ত হবে। এসব উড়োজাহাজ আসার ফলে নতুন নতুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষের।একের পর এক উড়োজাহাজ সংযোজনের মধ্য দিয়ে বহর শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিমান তার রুট ও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে ১৩ মে থেকে বিমান ঢাকা-দিল্লি-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে। আগামী জুলাইয়ে চালু হতে যাচ্ছে বিমানের গুয়াংজু ফ্লাইট। জেদ্দা, দাম্মাম ও রিয়াদের পাশাপাশি সৌদি আরবে বিমানের চতুর্থ গন্তব্য মদিনায় আগামী অক্টোবর থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে জাতীয় পতাকাবাহী এ সংস্থা। এ ছাড়া যাত্রী–চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আগামী জুলাই থেকে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বিমান এখন ১৬টি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব কটি রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস রেকর্ডসংখ্যক ২৬ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। | 402,230 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩০ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩০ | এশিয়া | 0 | মানবাধিকারকর্মী আটক | http://www.prothom-alo.com/international/article/739054 | বেইজিংয়ে কর্মরত সুইডেনের মানবাধিকারকর্মী পিটার ডাহলিনকে আটক রেখেছে চীন। গতকাল বুধবার চাইনিজ আরজেন্ট অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ এ তথ্য জানায়। এই গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার মূলত চীনে মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করতেন। ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ সন্দেহে ৪ জানুয়ারি বেইজিং থেকে পিটারকে আটক করা হয়। বেইজিংয়ে সুইডিশ দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, পিটারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তারা। এদিকে আটকের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই। রয়টার্স | 192,354 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৬ এপ্রিল ২০১৬, ০০:১০ | ২৬ এপ্রিল ২০১৬, ০০:১১ | বাণিজ্য | 0 | ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল গঠন | http://www.prothom-alo.com/economy/article/840625 | হিসাব ও নিরীক্ষাকে অধিকতর জবাবদিহির আওতায় আনতে বহুল প্রতীক্ষিত ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) গঠন করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত রোববার এক প্রজ্ঞাপনে বলেছে, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ৩-এর উপধারা (১)-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার ‘ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল’ নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করল। কাউন্সিলে একজন চেয়ারম্যান, দশজন সদস্য ও একজন নির্বাহী পরিচালক থাকবেন। হিসাবরক্ষণ, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, ফাইন্যান্স বা ব্যাংকিং বিষয়ে ১৫ বছরের নির্বাহী কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কাউকে চার বছরের জন্য এফআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবে সরকার। চেয়ারম্যান তিন মাসে একবার কাউন্সিলের সভা ডাকবেন।এদিকে এফআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদের নেতৃত্বে গত শনিবার তিন সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে।আইন অনুযায়ী এফআরসির সদস্য হবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, একজন ডেপুটি মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন সদস্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের একজন কমিশনার, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস বাংলাদেশের সভাপতি, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্টস বাংলাদেশের সভাপতি, সরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি। এফআরসির চেয়ারম্যান একজন নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ দেবেন, যিনি হবেন একই সঙ্গে সংস্থাটির সদস্যসচিব। | 223,860 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জুলাই ২০১৭, ০১:১৯ | ২২ জুলাই ২০১৭, ০১:৫৭ | রাজনীতি | 0 | সরকার নীলনকশার নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে: রিজভী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1260711 | বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইসি ও সরকার যৌথভাবে একতরফা ও নীলনকশার নির্বাচনের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। তাদের কার্যক্রমে এটি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।‘বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে’—ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জনগণের কাছে আগে থেকেই একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি কুমিল্লার ডিসি থাকতে সরকারি আইন ভেঙে ‘জনতার মঞ্চে’ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে তাঁর নিজ এলাকা পটুয়াখালী-বাউফলে আওয়ামী লীগের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। সিইসি হিসেবে যোগদানের পর তিনি বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি।রিজভী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা সরকারি ব্যয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, যা নির্বাচনী আইন পরিপন্থী। অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও বাধা দিচ্ছে সরকার। বিএনপির ঘরোয়া সভাতেও পুলিশ ও সরকারের দলীয় সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালাচ্ছে।ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনাদের অধীনে নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি। সুতরাং আগামী সংসদ নির্বাচন দলনিরপেক্ষ ব্যক্তির অধীনে করতে এগিয়ে আসুন।’রিজভী অভিযোগ করেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় সরকার সাংবাদিকদের নির্যাতন করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারও হেলাল উদ্দিন নামের একজন সিনিয়র সাংবাদিককে ৫৭ ধারায় আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায়। তিনি দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক বিধানসহ সব কালাকানুন বাতিলের দাবি জানান। | 327,931 |
উৎপল শুভ্র | sports | খেলা | ১১ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৪১ | ১১ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৪৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | স্তব্ধ হয়ে গেল ক্রিকেটের কণ্ঠস্বর | http://www.prothom-alo.com/sports/article/500488 | শিম্পলি শুপার্ব!বানান ভুল হয়নি।রিচি বেনো এভাবেই বলতেন। অননুকরণীয় উচ্চারণের সেই কণ্ঠ গত কিছুদিন শোনা যায়নি। আর যাবেও না কোনো দিন। রিচি বেনো আর নেই।বছর দেড়েক আগে গলফ খেলে সিডনির উপকণ্ঠে সমুদ্রতীরের বাড়িতে ফেরার সময় গাড়ি দুর্ঘটনার জের বয়ে বেড়াচ্ছিলেন শরীরে। সঙ্গে আততায়ী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ত্বকের ক্যানসার। দুইয়ে মিলে গত পরশু রাতে সিডনিতে শেষ হয়ে গেল বেনোর জীবনের ইনিংস। যেটির স্থায়িত্ব ছিল ৮৪ বছর।একদমই আকস্মিক বলা যাবে না এই দুঃসংবাদকে। বরং যেকোনো সময় এটি শোনার মানসিক প্রস্তুতি ছিল সবারই। তাতেও কি শোকের মাত্রা কমে! রিচি বেনোর প্রয়াণে অদৃশ্য শোকের চাদরে ঢাকা পড়েছে ক্রিকেট-বিশ্ব। এটি যে শুধুই একজন ক্রিকেটার আর ধারাভাষ্যকারের চলে যাওয়া নয়। আক্ষরিক অর্থেই একটি যুগের অবসান।সেই ‘যুগ’ও তো কম দীর্ঘ নয়। বছরের হিসাবে প্রায় ৫ যুগ। ১৯৫২ সালে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু, শেষ ১৯৬৪ সালে। টেস্ট খেলেছেন ৬৩টি। ২২০১ রানের সঙ্গে লেগ স্পিনে ২৪৮ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের ‘ডাবল ডাবল’ অর্জনের প্রথম কীর্তি তাঁর। মাত্র ২৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাতেই অস্ট্রেলিয়ার সবর্কালের সেরা অধিনায়কদের একেবারে সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও তাঁকে না রেখে উপায় নেই। শুধু পরিসংখ্যানকে সম্বল মানলে অবশ্য মনে একটু প্রশ্ন জাগবেই। কোনো সিরিজ হারেননি ঠিক আছে, কিন্তু জয় তো মাত্র ১২টি টেস্টে। যার অর্থ সাফল্যের হার ৫০ শতাংশও নয়। তবে পরিসংখ্যানে তো এটা লেখা নেই, বেনোর আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব পরবর্তী কয়েক প্রজন্মকে কেমন প্রভাবিত করেছে!ব্রিসবেনে ‘টাই’ টেস্ট দিয়ে শুরু ১৯৬০-৬১ অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে সিরিজটি টেস্ট ক্রিকেটকে সোনার কাঠির ছোঁয়ায় জাগিয়ে তুলেছিল, তাতে বেনোই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছিলেন ফ্র্যাঙ্ক ওরেলের মাঝে। দুজনেরই বাঁধনহীন আনন্দময় ক্রিকেট খেলার দর্শন সঞ্জীবনী সুধায় ভরিয়ে দিয়েছিল মৃতপ্রায় টেস্ট ক্রিকেটকে। মাত্র ৪২ বছর বয়সেই লিউকেমিয়ায় অকালমৃত্যু হয়েছে ওরেলের। বেনো পৃথিবীতে থাকলেন ঠিক এর দ্বিগুণ সময়। গেলেন পরিণত বয়সেই। তার পরও তাঁর মৃত্যুতে যে ক্রিকেট-বিশ্বে অসীম শূন্যতার অনুভূতি, সেটির কারণ ধারাভাষ্যকার রিচি বেনো। কত লক্ষ-কোটি মানুষের কৈশোর-তারুণ্য- যৌবনের অনুষঙ্গ হয়ে ছিল ওই কণ্ঠ! ওই মুখ-ও কি নয়!ক্রিকেটের সবচেয়ে বিখ্যাত কণ্ঠের প্রতিযোগিতায় হয়তো জন আর্লটই জিতবেন। শুধু কণ্ঠই। বিবিসির ‘টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল–’ই ছিল আর্লটের চারণক্ষেত্র, টেলিভিশনে ধারাভাষ্য বলতে গেলে দেনইনি। রিচি বেনোরও শুরু বিবিসি রেডিওতেই, তবে তিন বছর পরই চলে আসেন বিবিসি টেলিভিশনে। ক্রমশই হয়ে ওঠেন ক্রিকেট ধারাভাষ্যের মুখ। যে ধারাভাষ্যকার পরিচয় ক্রিকেটার রিচি বেনোকেও আড়াল করে দিয়েছিল, সেই কাজটা শুরু করেছিলেন খেলোয়াড়ি জীবনেই। তখন তো আর ক্রিকেটে এত টাকা নেই। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলা শুরুর সময় থেকেই তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে সাংবাদিকতায় দীক্ষা নিয়েছেন। সিডনির এক পত্রিকায় প্রথম কাজ শুরু করেন পুলিশ ‘বিট’ দিয়ে। কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য চলে আসেন ক্রিকেটে। খেলা ছাড়ার আগেই দুটি বই বেরিয়ে যায়। খেলা ছাড়ার পর আরও বেশ কটি। নিজের সম্পর্কে বলতে সব সময়ই অনীহ ছিলেন, যেটির প্রতীকী প্রকাশ ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত তাঁর একটি বইয়ের নামে—এনিথিং বাট অ্যান অটোবায়োগ্রাফি। নামটি সার্থক। কারণ ২৮৪ পৃষ্ঠার বইটি পড়েও মানুষ বেনোকে আপনি খুব একটা জানতে পারবেন না।ধারাভাষ্যকার হিসেবে তাঁর কিংবদন্তিতুল্য উচ্চতার মূলেও এই পরিমিতিবোধ। বেনোর ধারাভাষ্যে নীরবতা আসলেই হিরণ্ময় হয়ে উঠত। অধিকাংশ ধারাভাষ্যকারের মতো টেলিভিশনে সবাই যা দেখছে, সেটিরই পুনরাবৃত্তি করাটাকে ‘পাপ’ বলে গণ্য করতেন। নিজের ধারাভাষ্য-দর্শনের কথাও স্পষ্টই জানিয়েছেন অনেকবার—যদি ছবির সঙ্গে কিছু যোগ না করতে পারো, চুপ করে থাকো। কম বলতেন বলেই তাঁর প্রতিটি কথা আরও বেশি মূল্য পেত। শুধু ধারাভাষ্যই কেন; যখন যেখানে ক্রিকেট নিয়ে কিছু বলেছেন, তাতেই ফুটে বেরিয়েছে ক্রিকেট বৈদগ্ধ্য ও বিবেচনাবোধ।ক্রিকেটকে আমূল বদলে দেওয়া কেরি প্যাকারের রঙিন বিপ্লবের নেপথ্য মস্তিষ্ক হিসেবে ছিলেন। ১৯৭৭ সালে সেই যে চ্যানেল নাইনে ধারাভাষ্য দিতে শুরু করলেন, প্রায় ৩৬ বছর অচ্ছেদ্য ছিল এই বন্ধন। হঠাৎই ধারাভাষ্যকক্ষের বাইরে ছিটকে পড়ায় অস্ট্রেলিয়ান দর্শকের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় অবশ্য নেওয়া হয়নি। যা নিয়েছিলেন ব্রিটিশ দর্শকদের কাছ থেকে। ২০০৫ সালে অ্যাশেজ সিরিজ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইংলিশ গ্রীষ্মের সঙ্গে প্রায় ৪৫ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। যা ছিল নীরব এক প্রতিবাদও। ওই সিরিজটি দিয়েই ইংল্যান্ডে বিনা পয়সায় টেলিভিশনে টেস্ট ক্রিকেট দেখার দিন ফুরোয়। যেটি মেনে নিতে পারেননি বেনো।ধারাভাষ্যকার হিসেবে পরিচিতি আর খ্যাতি ক্রিকেটার বেনোকে প্রায় অদৃশ্য করে দেওয়ার প্রমাণ তিনি নিজেও পেয়েছেন। নিজের লেখা অন রিফ্লেকশন বইয়ে ১৯৮২ সালে এসসিজিতে তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়ার পর বছর বারোর এক কিশোরের প্রশ্নের সরস বর্ণনা আছে। ‘আপনি কি কখনো অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ক্রিকেট খেলেছেন, মিস্টার বেনো?’ কাঁদবেন না হাসবেন বুঝতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কোনোটাই না করে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি ১৯৬৩ সাল (আসলে বেনো শেষ টেস্ট খেলেছেন ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে) পর্যন্ত খেলেছি।’ ওই বালকের উত্তরটাও লিখেছেন বেনো, ‘দ্যাটস গ্রেট! আমি তো মনে করেছিলাম আপনি শুধু ক্রিকেটের একজন ধারাভাষ্যকার।’রিচি বেনো শুধুই ধারাভাষ্যকার ছিলেন না। শুধুই ক্রিকেটারও নন। এই দুই পরিচয়ের সঙ্গে সাংবাদিক-লেখক সবকিছু যোগ করে রিচি বেনো আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ক্রিকেটে সম্ভবত সবচেয়ে প্রভাবশালী নাম। শোক প্রকাশে নীরবতা পালনের যে প্রথা, সেটিতেই নাহয় শ্রদ্ধা জানানো যাক তাঁকে।ওই ‘নীরবতা’ই তো ছিল রিচি বেনোর সিগনেচার টোন!রিচি বেনোর টেস্ট ক্যারিয়ারব্যাটিংটেস্ট রান সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০৬৩ ২২০১ ১২২ ২৪.৪৫ ৩/৯বোলিংবল উইকেট সেরা গড় ৫ উই.১৯১০৮ ২৪৮ ৭/৭২ ২৭.০৩ ১৬শ্রদ্ধাঞ্জলিএক জাতীয় সম্পদ হারাল আমাদের দেশ। ডন ব্র্যাডম্যানের পর আর কোনো অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় তাঁর মতো বিখ্যাত বা প্রভাবশালী ছিলেন না।ওয়ালি এডওয়ার্ডস, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যানক্রিকেট ও টেলিভিশনের জন্য যে মানদণ্ড বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি, সেটি দুর্দান্ত! যদি কোনো তরুণ ক্রিকেটার কীভাবে পারফর্ম ও আচরণ করতে হবে শিখতে চায়, রিচি বেনোই উদাহরণ।বিল লরিঅনেকেই বলেন, রিচির একটু রসবোধ থাকলে ভালো হতো। ওঁরা ভুল বলেন। রসবোধ তাঁর ভালোই ছিল।ইয়ান চ্যাপেলসর্বকালের সেরা ক্রিকেট-মস্তিষ্কের একজন। তাঁর মৃত্যুতে মর্মাহত।ইমরান খানতিনি অনন্য। কারণ খেলোয়াড়, ধারাভাষ্যকার, প্রশাসক, লেখক—খেলার সব ভূমিকাতেই ছিল তাঁর বিচরণ।স্টিভ ওয়াহক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার অথবা মানুষ—যেকোনো হিসেবেই আপনি সেরা। আপনাকে বন্ধু আর পরামর্শদাতা হিসেবে পাওয়া ছিল দারুণ গর্বের। ক্রিকেট বিষয়ে, বিশেষ করে আমাদের দুজনের ভালোবাসা লেগ স্পিন নিয়ে কথা বলার কী চমৎকার সব স্মৃতি আপনার সঙ্গে!শেন ওয়ার্নমনে পড়ছে, শারজায় শেন ওয়ার্ন ও আমার সঙ্গে বসে লেগ স্পিন নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। গত বছর শেষের দিকে শেষবার তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল৷ ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হয়ে গেল৷শচীন টেন্ডুলকারঅস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে আমাদের চিরসঙ্গী ছিলেন তিনি। লাখো অস্ট্রেলিয়ানের জীবনের অংশ। তাঁর অভাব আমরা বেশঅনুভব করব।টনি অ্যাবট, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী | 130,472 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১৮ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১৯ | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বিজিবির কম্বল বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/414583 | সাতক্ষীরা বিজিবির অধিনায়ক মেজর নজির আহমেদ বকসির নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা শহরতলির বাঁকাল ও লাবসা বেদেপল্লিতে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।এ ছাড়া সাতক্ষীরা সদর থানার সামনে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের পাশে খালি গায়ে শীতে ন্যুব্জ হয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধকে কম্বল দেওয়া হয় বিজিবির পক্ষে। মেজর নজির আহমেদ বকসি বলেন, যাদের শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের মধ্যে এ শীত মৌসুমে কয়েক দফায় কম্বল বিতরণ করা হবে। | 103,740 |
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি| | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ মার্চ ২০১৫, ০০:৫৭ | ০১ মার্চ ২০১৫, ০১:০৩ | টেকনাফ,কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | মিয়ানমারের নাগরিক আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/464371 | কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং চেকপোস্ট এলাকা থেকে গতকাল শনিবার সকালে ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের এক নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবু জার আল জাহিদ প্রথম আলোকে জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে হোয়াইক্যং চেকপোস্ট এলাকায় কক্সবাজারগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১ হাজার ৬৪৫টি ইয়াবা বড়িসহ আবদুল মোনাফকে (৪৭) আটক করা হয়। তাঁর বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরে। তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, মিয়ানমারের ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। | 119,468 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৮ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৯ | -1 | 0 | টিভিতে আজকের খেলা সূচি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1563672 | আজ টেলিভিশনের পর্দায় যেসব খেলা দেখবেন:১ম টেস্ট-১ম দিনবিটিভি ও গাজী টিভিবাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েসকাল ৯-৩০ মি.ফেডারেশন কাপচ্যানেল নাইন মোহামেডান-নোফেলবেলা ৩-১৫ মি.শেখ জামাল-বসুন্ধরাবিকেল ৫-১৫ মি.ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগস্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১বোর্নমাউথ-ম্যান ইউনাইটেডসন্ধ্যা ৬-৩০ মিএভারটন-ব্রাইটনরাত ৯টাআর্সেনাল-লিভারপুলরাত ১১-৩০ মি.উলভারহ্যাম্পটন-টটেনহামরাত ১-৪৫ মি.লা লিগাসনি টেন ২ ও ১লেগানেস-অ্যাটলেটিকো সন্ধ্যা ৬টারিয়াল মাদ্রিদ-ভায়াদোলিদরাত ৯-১৫ মি.লা লিগাফেসবুক লাইভভায়েকানো-বার্সেলোনারাত ১-৪৫ মি.সিরি আ সনি টেন ২ইন্টার মিলান-জেনোয়া রাত ৮টাফিওরেন্টিনা-রোমা রাত ১১টাজুভেন্টাস-ক্যালিয়ারি রাত ১-৩০ মি.বুন্দেসলিগা স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২বায়ার্ন-ফ্রাইবুর্গরাত ৮-৩০ মি.বার্লিন-লাইপজিগ রাত ১১-৩০ মি.টেনিস সনি ইএসপিএনরোলেক্স প্যারিস মাস্টার্সসন্ধ্যা ৭টা | 381,428 |
তারেক মাহ্মুদ | sports | খেলা | ১২ আগস্ট ২০১৫, ০২:০৫ | ১২ আগস্ট ২০১৫, ০২:২৫ | সাক্ষাৎকার,খেলা | 0 | ‘বাবা-মাকে নিজে গাড়ি চালিয়ে ঘোরালাম’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/600481 | সাকিব’স ডাইনে সেদিন হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘কবে বাড়ি যাব কাউকে বলব না। বাসায়ও না। বললেই একটা হইচই বেধে যাবে।’ সে আশায় গুড়ে বালি। নিজের শহর সাতক্ষীরায় ছুটি কাটাতে গিয়ে সৌম্য সরকার হয়ে পড়েছেন দারুণ ব্যস্ত। লোকজন তো দেখা করতে আসছেই, কখনো তিনি নিজেও যাচ্ছেন কারও খোঁজখবর নিতে। সেসবেরই একফাঁকে কাল মুঠোফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের এই তরুণ ব্যাটসম্যান জানালেন তাঁর বদলে যাওয়া জীবনের কথা— নিজের শহর সাতক্ষীরায় আছেন। কেমন সময় কাটছে?সৌম্য সরকার: খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে হচ্ছে। এখানে যাওয়া, সেখানে যাওয়া। আজ (গতকাল) একটা স্কুলে গেলাম বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে।আপনাকে কাছে পেয়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পরিবারের সদস্যদের প্রতিক্রিয়া কী?সৌম্য: তারা তো সবাই রেগে আছে আমার ওপর। বাসায় এসেও ঠিকভাবে সময় দিতে পারছি না। সবাই চাচ্ছে, তাদের আলাদা করে সময় দিই। কিন্তু অন্যান্য ব্যস্ততায় সেটা হচ্ছে না।নতুন গাড়ি নিয়ে গেছেন। বাবা-মা কী বললেন আপনার গাড়ি দেখে?সৌম্য: খুব খুশি তাঁরা। সাতক্ষীরায় এসে বাবা-মাকে নিজে গাড়ি চালিয়ে ঘোরালাম।এখন তো আপনি তারকাই হয়ে গেছেন। নিজের শহরে আগের জীবনের সঙ্গে এখনকার জীবনের পার্থক্য কী?সৌম্য: আসলে এখন সবাই চেনে তো...ইচ্ছে করলেই সবকিছু করা যায় না। সব জায়গায় যাওয়া যায় না। মানুষ ভিড় করে। কিছু কিছু সময় তো থাকেই, যেটা ব্যক্তিগতভাবে কাটাতে ইচ্ছে করে। তখন হয়তো একটু সমস্যা হয়। তবে আমার এসবে এখন পর্যন্ত ভালোই লাগছে।একসময় রবিউল ইসলাম ছিলেন জাতীয় দলে সাতক্ষীরার একমাত্র প্রতিনিধি। তাঁকেও সেখানে সবাই চেনে। তখন কি মনে হতো, যদি আপনিও এ রকম তারকা হতে পারতেন?সৌম্য: রবিউল ভাইয়ের সঙ্গে কখনো নিজেকে তুলনা করিনি। তবে এ রকম স্বপ্ন তো ছিলই। সব সময়ই মনের মধ্যে একটা ইচ্ছা ছিল, বড় ক্রিকেটার হব। আমাকে সবাই চিনবে।আপনার গ্রামের বাড়িতে আগে বিদ্যুৎ ছিল না। আপনার কারণেই নাকি এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত সেই গ্রাম...সৌম্য: আসলে আমার কারণে হয়েছে কি না জানি না। হয়তো বা কেউ শুনেছেন যে সৌম্য সরকারের গ্রামে বিদ্যুৎ নেই, তখন তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন, এটা হতে পারে।আপনাদের কারণে সাতক্ষীরায় ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে বলে শোনা যায়। আগের চেয়ে অনেক বেশি ছেলে এখন ক্রিকেটে আসছে। আপনি নিজেও কি তেমন দেখছেন?সৌম্য: হ্যাঁ, সবার মধ্যেই আগ্রহ বেড়েছে। বেশ কয়েকটা নতুন একাডেমি হয়েছে। নতুন নতুন ছেলেরা আসছে। সাতক্ষীরায় অনেক মাঠ আছে, যেখানে ছেলেরা চাইলেই টেপ টেনিস দিয়ে খেলতে নেমে যেতে পারে। তবে ক্রিকেট বলে খেলার মাঠ কম। লিগও নিয়মিত হয় না। আগে অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় ছিল। নিয়মিত খেলা না হওয়ায় অনেকে খেলা ছেড়ে দিয়েছে। তা ছাড়া ক্রিকেট খেলার জন্য যেসব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন, সেগুলোও এখানে তেমন একটা নেই।খেলার প্রসঙ্গে আসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর মধ্যেই ১৬টি ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন। টেস্টও খেলেছেন তিনটি। এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতা কেমন?সৌম্য: অভিজ্ঞতা ভালোই। অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বকাপের মতো একটা বড় আসরে খেলে ফেলেছি। আমার চোখে এটাই বড় অর্জন—দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছি। কারণ, বিশ্বকাপে খেলা সবার ভাগ্যে থাকে না।বিকেএসপির ছাত্র থাকা অবস্থায়ই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা শুরু করেছেন। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট, এখন জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মূল পার্থক্য কী মনে হয়?সৌম্য: পার্থক্য তো অনেক। চাপ, উইকেট, প্রতিপক্ষ, প্রত্যাশা—সবকিছুতেই পার্থক্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন একটা জগৎ। এর সঙ্গে আসলে অন্য কিছুর তুলনা চলে না।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন হলেও আপনার ব্যাটিং দেখলে সেটা মনে হয় না। ভয়ডরহীন একটা ব্যাপার আছে আপনার ব্যাটিংয়ে, এটির কী রহস্য?সৌম্য: আসলে ছোটবেলা থেকেই আমি এভাবে খেলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সেভাবেই খেলার চেষ্টা করছি। খেলার ধরনে আমি কোনো পরিবর্তন আনিনি, বাড়তিও কিছু করিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে খেলি, সেই স্বাভাবিক ব্যাটিংটাই জাতীয় দলের হয়েও করছি।একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একসময় আপনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পরে বাঁহাতি হয়ে গেছেন। ব্যাপারটা একটু খুলে বলবেন?সৌম্য: আসলে সে রকম কিছু নয়। ডানহাতি বলতে আমি কিন্তু কখনো ডান হাতে খেলিনি। তবে সবকিছু আমি ডান হাতেই করি, কারণ, আমার শক্তি ডান হাতে বেশি। ছোটবেলায় সৌরভ গাঙ্গুলীর বড় ভক্ত ছিলাম। ব্রায়ান লারার খেলাও ভালো লাগত। সে জন্যই চেয়েছিলাম ডান হাতে না করে যদি বাঁ হাতে ব্যাট করা যায়। বাঁ হাতে ব্যাটিং এভাবেই শুরু।সবকিছু যেখানে ডান হাতে করেন, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হতে গেলে তো সমস্যা হওয়ার কথা...সৌম্য: কোনো সমস্যা হয়নি। ওই যে বললাম, গাঙ্গুলীর খেলা খুব দেখতাম। তাঁকে খুব ভালো লাগত। আমি যেমন ডান হাতে বল করি, তিনিও তো ডান হাতেই বল করতেন। আমার যেহেতু ডান হাতেই শক্তি বেশি, ব্যাটিং ছাড়া অন্য সব...বোলিং-থ্রো সব ডান হাতেই করি।ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে পরিবারের অবদান কতটুকু?সৌম্য: পুরো অবদানই পরিবারের। পরিবারের জন্যই আজ আমি এখানে। খেলার ব্যাপারে তারা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে। আর এখন তো সবাই সমর্থন দিচ্ছে।জাতীয় দলে আসার পর অনেক ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। পরিবারকে কতটা মিস করেন?সৌম্য: অনেক বেশি। আমি প্রচণ্ড হোমসিক একটা ছেলে। খেলা চলাকালীন কোনো সমস্যা হয় না। কারণ, তখন তো সবাই একসঙ্গে থাকি। কিন্তু খেলা শেষে যখন ছুটি হয়, ওই সময়টা আমি ঢাকায় থাকতে পারি না। বাসায় চলে আসি। বিকেএসপিতে থাকতেও তা-ই করতাম।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশেষ কোনো লক্ষ্য কি আছে? ধরুন, ক্যারিয়ার শেষে টেস্টে নিজের নামের পাশে কত রান দেখতে চান বা এ রকম অন্য কিছু...সৌম্য: লক্ষ্য সবারই কিছু না কিছু থাকে, আমারও আছে। সেটা প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছি না। তবে আমি চাই, দলে একজন অলরাউন্ডার হিসেবে থাকতে। ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই যেন দলকে সার্ভিস দিতে পারি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত নিজের সেরা ইনিংস মনে করেন কোনটিকে?সৌম্য: বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসটি। ওয়ানডেতে প্রথম ফিফটি তো ওটাই! | 159,377 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জুলাই ২০১৬, ০১:১০ | ১৯ জুলাই ২০১৬, ০১:২০ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | চারটি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/918583 | নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, পণ্যের মোড়কে মেয়াদ উল্লেখ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী এলাকার তিনটি খাবারের দোকানকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া নগরের অলংকার মোড়ের জনতা ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। অভিযানে সহায়তা দেয় নগর পুলিশ।অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অভিযানে নোংরা পরিবেশে ময়লাযুক্ত ডালডা দিয়ে বেকারি পণ্য তৈরির অপরাধে পাহাড়তলীর তৃপ্তি বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া নষ্ট দই বিক্রি এবং মোড়কে মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ না থাকায় একই এলাকার আল আরাফাত ফুড প্রোডাক্টসকে ১২ হাজার টাকা এবং অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘরের জন্য আয়শা রেস্টুরেন্ট ও বিরানী হাউসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। | 241,450 |
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জুলাই ২০১৫, ০১:২৩ | ০৭ জুলাই ২০১৫, ০১:২৪ | বিরামপুর,দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | চোরাচালান রোধে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠনের আহ্বান বিজিবির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/571546 | বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গতকাল সোমবার দিনাজপুরের হিলি সিপি ক্যাম্পে ‘সীমান্ত নিরাপত্তা এবং মাদক, মানব ও অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক সভা করেছে। এতে মাদক চোরাচালান রোধে পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে। ৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুর রাজ্জাক তরফদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজহারুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, বাংলা হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর-বিষয়ক সম্পাদক জামিল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক টগর মল্লিক, টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি গোলাম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। স্থানীয় ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সভাটি হয়। কর্নেল খালেকুজ্জামান বলেন, অস্ত্র দিয়ে কখনোই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন সব শ্রেণি-পেশার সচেতন মানুষের সম্পৃক্ততা। সমাজের সব মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেই দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। ইউএনও আজহারুল ইসলাম সীমান্তপথে মাদক চোরাচালান সম্পর্কে বলেন, হিলিতে এটি সম্ভব না। এখানে আগে মাদক নিয়ন্ত্রণে যে কমিটি করা হয়েছিল, সেখানে মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যাই বেশি ছিল। তারাই কমিটি নিজ স্বার্থে ব্যবহার করতেন। থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যে কমিটি রয়েছে, সেখানেও মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীরা সংখ্যাগুরু। বন্দর নেতা জামিল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ২৬ বছর আগে স্থাপিত হলেও স্থলবন্দরের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ায় মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। বন্দরের উন্নয়ন করে কর্মসংস্থান করা হলে মাদক ও চোরাচালান নির্মূল হবে। | 150,948 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪২ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪৩ | আইন ও বিচার | 0 | লিমনসহ চার আসামি রিমান্ডে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/699469 | বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম ওরফে লিমন ও তাঁর তিন সহযোগীকে অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।এদিকে লিমনকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁর অনুসারীরা মুক্তি চেয়ে আদালতের বারান্দায় স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়।চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, আসামি লিমন, সাদ্দাম হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম ও আজিজুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে খুলশী থানার পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।গত মঙ্গলবার রাতে লালখান বাজার এলাকার বাসা থেকে লিমন, সাদ্দাম হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম ও আজিজুল হককে অস্ত্র, গুলিসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন র্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক আবদুল মজিব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।২০১৩ সালের ২৪ জুন দরপত্র নিয়ে সিআরবির সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়। এ ঘটনায় লিমনসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় ডিবি। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটির অধিকতর তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। | 179,440 |
কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ মে ২০১৫, ০২:১৭ | ০৯ মে ২০১৫, ০২:১৯ | কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,খবর | 0 | শাহজাদপুরের খুশির দিনে শিলাইদহের কষ্ট! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/522955 | সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গতকাল শুক্রবার যখন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান চলছিল, ঠিক তখন কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুঠিবাড়ি চত্বরে চলছিল আলোচনা সভা। রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বক্তাদের মুখে ছিল ক্ষোভ ও হতাশার কথা। কারণ, তাঁরা স্বপ্ন দেখেছিলেন শিলাইদহেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হবে। কুষ্টিয়াবাসীর প্রত্যাশা পূরণে অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এই কুষ্টিয়াতেই সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিচ্ছি। এর কাজ আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে।’ মন্ত্রী আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন। এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের কুষ্টিয়া শাখার শিল্পীরা ‘দেখা দিক আর-বার’ রবীন্দ্রনাথের গানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন। শিল্পীরা একই সঙ্গে আরও দুটি গান শোনান। সভার আলোচক ও গবেষক লালিম হক ক্ষোভের সঙ্গে তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শিলাইদহের এই অনুষ্ঠানে মনঃপীড়া, মনোব্যথায় মানুষ সমাগম হয়নি। এখানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। কিন্তু তিনি (রবীন্দ্র) শিলাইদহে পরিচিত হয়েছিলেন।’ অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহেলা আক্তার। স্মারক বক্তা কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, এই শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের প্রাণের যোগ ও নাড়ির টান রয়েছে। রবীন্দ্রনাথকে যে জনপদ প্রতিনিধিত্ব করে, সেটা শিলাইদহ। এটা আবেগ নয়, যৌক্তিক দাবি। সকাল থেকেই বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু রবীন্দ্রপ্রেমী ও ভক্তদের মিলনমেলায় পরিণত হয় কুঠিবাড়ি চত্বর। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সেখানে বসেছে তিন দিনের রবীন্দ্র মেলা। ‘সভ্যতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’—এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রবীন্দ্র-জন্মবার্ষিকীর এসব আয়োজন। প্রথম দিন দ্বিতীয় পর্বে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া, কুমারখালী, ভেড়ামারা, দৌলতপুর ও মিরপুরের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সংগঠনের শিল্পীরা কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশনায় অংশ নেন। | 137,562 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২০ নভেম্বর ২০১৫, ১০:৫৫ | ২০ নভেম্বর ২০১৫, ১০:৫৯ | সংস্কৃতি | 0 | মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আলোকচিত্র | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/688972 | বিশ্ব অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাত, সংঘর্ষ। প্রতিদিনই মিলছে নতুন কোনো যুদ্ধ আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর। এসবের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি এবং শান্তির আহ্বান জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করেছে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী।আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলনায়তনের পায়রা চত্বরে শুরু হবে অসহিষ্ণুতা, সংঘাত, সংঘর্ষ, যুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এ ছাড়া থাকবে শান্তির স্বপক্ষে কবিতা, গান ও উন্মুক্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহীন রেজা জানান, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কাজ করছে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই বার্তাটিই পৌঁছে দিতে চাই যে, রক্তপাত ও সংঘর্ষের মাধ্যমে পৃথিবীতে ভালো কিছু কখনই হয়নি। তাই রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সব ধরনের সমস্যার সমাধানে সংঘাত বদলে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।’প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ। উদ্বোধনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই পাঠ করবেন শান্তির কবিতা ও গান। দেখানো হবে যুদ্ধবিরোধী চলচ্চিত্র। | 175,908 |
-1 | opinion | মতামত | ২২ মার্চ ২০১৭, ০০:০২ | ২২ মার্চ ২০১৭, ০০:০২ | চিঠিপত্র,মতামত | 0 | স্পেশাল সার্ভিস | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1115461 | রাজধানীজুড়ে স্পেশাল সার্ভিসের নামে চলছে অবাধ নৈরাজ্য। ক্রমেই উঠে যাচ্ছে স্বল্প দূরত্বের যানবাহন। নগরীতে এমনিতেই গণপরিবহনের সংখ্যা অত্যন্ত কম, তার ওপর শুরু হয়েছে স্পেশাল সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অপকৌশল। মালিবাগ থেকে কোনো যাত্রী যদি গুলিস্তান যেতে চায়, তাহলে রিকশা ছাড়া উপায় নেই। অথচ সবার পক্ষে সব সময় কি ব্যয়বহুল এ বাহনে চড়া সম্ভব হয়?সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, আগে যেসব গণপরিবহন লোকাল নামে পরিচিত ছিল, সেসব পরিবহন উপরিভাগে সামান্য রং দিয়ে বড় করে ‘স্পেশাল সার্ভিস’ নাম ধারণ করে দুই গুণ থেকে তিন গুণ ভাড়া আদায় করছে। শুধু তা-ই নয়, তারা স্বল্প দূরত্বের যাত্রী নিতে রাজি নয়। তারা যাত্রী তোলার আগেই নিশ্চিত হয়, যাত্রীর গন্তব্য কোথায়। কী উপায়ে বা কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসব লোকাল বাস বা মিনিবাস ‘স্পেশাল সার্ভিস’ বনে গেল, তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়। পরিবহনের মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার কাছে কি নাগরিকের অধিকার জিম্মি হয়ে থাকবে? গণপরিবহনের এসব নৈরাজ্য বন্ধে অবিলম্বে ¦প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। | 305,445 |
-1 | opinion | মতামত | ২৯ আগস্ট ২০১৫, ০০:৩৪ | ২৯ আগস্ট ২০১৫, ০০:৩৫ | চিঠিপত্র,মতামত | null | অতিরিক্ত বাসভাড়া | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/615514 | জিয়া কলোনি (এমইএস) মিরপুর ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে গাবতলী, এয়ারপোর্ট থেকে গাবতলী, এয়ারপোর্ট থেকে মিরপুর, এয়ারপোর্ট থেকে আগারগাঁও ও এয়ারপোর্ট থেকে শিয়া মসজিদ পর্যন্ত অনেক বেসরকারি যানবাহন চলাচল করছে। ওই বাসগুলো সিটিং সার্ভিসের নাম করে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছে।এই বাসগুলো নামমাত্র সিটিং সার্ভিস ও গেটলক, এগুলো সব জায়গায় নিজের ইচ্ছামতো স্টপেজ দেয়।এ নিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে বাসের চালক ও কন্ডাক্টরদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তাঁরা ২০, ৩০ ও ৫০ টাকার নিচে ভাড়া নিতে চান না। সরকার–নির্ধারিত ভাড়ার হার তাঁরা মানছেন না। বিষয়টি দেখার কি কেউ আছে?মো. মহিউদ্দিনঢাকা। | 164,122 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৩ মে ২০১৭, ০০:২২ | ১৩ মে ২০১৭, ০৮:২১ | ঢালিউড | null | আদালতের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই শপথ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1177606 | বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ দ্বিতীয় আদালত এই অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে না।৫ মে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নির্বাচনে ওমর সানী-অমিত হাসান প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী অভিনেতা ও প্রযোজক রমিজ উদ্দীন ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ১১ মে আদালতে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের আবেদন করেন। ওই দিনই আদালত এই নির্দেশ দেন।চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্রনির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর, আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান চিত্র প্রযোজক নাসির উদ্দিন দিলু, শিল্পী সমিতির বিগত কমিটির সভাপতি চিত্রনায়ক শাকিব খান ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ বরাবর আদালত এই নির্দেশ দেন।আদালতের এই নির্দেশের ব্যাপারে কথা হয় মনতাজুর রহমান আকবরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ এখনো হাতে পাইনি। নির্বাচনী তফসিলে আছে, ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাতে হবে। তাই নির্ধারিত সময়েই আমরা শপথ অনুষ্ঠান করছি।’গতকাল শুক্রবার পূর্বঘোষিত সময়েই নতুন কমিটির সদস্যদের শপথ পড়ানো হয়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, রিয়াজ, নাদির খান, রোজিনা, পূর্ণিমা, পপি, নাসরিন, অঞ্জনা, নানা শাহ, সুব্রত, আরমান, জ্যাকি আলমগীর।এদিকে গতকাল বিকেলেই বাদীপক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তর করতে না পারলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজটি করা মানেই আদালত অবমাননা।’ক্ষমতা হস্তান্তরে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘ছুটির কারণে হয়তো আদালতের নির্দেশ আমরা হাতে পাইনি। তবে বিজ্ঞ আদালত যদি এমন নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা আইনগতভাবেই তা সুরাহা করার চেষ্টা করব।’ | 317,153 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৬ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৩২ | -1 | 0 | আশ্রয়প্রার্থীদের আটক রাখা বৈধ ছিল | http://www.prothom-alo.com/international/article/436795 | ১৫৭ আশ্রয়প্রার্থীকে মাসব্যাপী জাহাজে আটক রাখার বিষয়টি বৈধ বলে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ আদালত। গত মঙ্গলবার আদালতের ওই আদেশে বলা হয়েছে, অন্যায্য কারাদণ্ডের কারণে ক্ষতিপূরণের দাবি করার অধিকার আটক শ্রীলঙ্কার ওই নাগরিকদের নেই। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই রায় সর্বসম্মতিক্রমে হয়নি। চারজন বিচারক আশ্রয়প্রার্থীদের আটক রাখাকে বৈধ এবং তিনজন এর বিরুদ্ধে রায় দেন।গত ২৯ জুন অস্ট্রেলিয়ার শুল্ক বিভাগের একটি জাহাজ অস্ট্রেলীয় বৈদেশিক ভূখণ্ড ক্রিসমাস দ্বীপের কাছে নৌকায় করে আসা ওই লোকদের আটকায়। ১৬ দিন আগে ভারত থেকে রওনা হওয়া শ্রীলঙ্কার ওই নাগরিকদের ভারতে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাদের শেষ পর্যন্ত নাউরুতে নিয়ে যাওয়া হয়। | 110,975 |
-1 | opinion | মতামত | ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:০২ | ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:০৮ | -1 | 0 | পাঠকদের প্রতি | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1025915 | ‘হিলারি ও ট্রাম্প দুজনকেই অপছন্দ!’ এবং ‘যেভাবে ফ্লোরিডা জয়–পরাজয় গড়ে দিল’ শিরোনামে যথাক্রমে ৮ ও ১৯ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে প্রথম আলোতে দুটি উপসম্পাদকীয় রচনা প্রকাশিত হয়েছিল। লেখা দুটিতে মৌলিকতার সমস্যা থাকায় প্রথম আলোর অনলাইন ও ই–পেপার সংস্করণ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। অনভিপ্রেত এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত।বিভাগীয় সম্পাদক | 267,464 |
মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান | education | শিক্ষা | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:০১ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:০২ | পড়াশোনা | 0 | বিজ্ঞান | http://www.prothom-alo.com/education/article/445090 | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বিজ্ঞানের অধ্যায়-১ থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।A B Cগোলক্রিমি মানুষ প্রজাপতিপ্রশ্ন:ক. শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?খ. কুনোব্যাঙকে কেন উভচর প্রাণী বলা হয়?গ. C প্রাণীটি কোন পর্বের? ব্যাখ্যা করো।ঘ. A ও B প্রাণী দুটিকে ভিন্ন ভিন্ন পর্বে রাখার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।উত্তর-ক.জীবের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মিল ও অমিলের ভিত্তিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিভিন্ন দল বা স্তর বা ধাপে পর্যায়ক্রমে সাজানো হয়। জীবজগেক ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।উত্তর-খ.মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে এবং মাছের মতো বিশেষ ফুলকার সাহায্যের শ্বাসকার্য চালায়, পরিণত অবস্থায় ডাঙায় বাস করে তাদের উভচর প্রাণী বলে। কুনোব্যাঙ ব্যাঙাচি অবস্থায় পানিতে এবং পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় ডাঙায় বাস করে। এ জন্য কুনোব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলে।উত্তর-গ.C প্রাণীটি প্রজাপতি, যা আর্থ্রোপোডা (Arthropoda) পর্বের অন্তর্ভুক্ত। কারণ—১. এ পর্বের প্রাণীদের দেহ খণ্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।২. মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।৩. নরম দেহ শক্ত কাইটিন-সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত।৪. এদের দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত।উত্তর-ঘ.A প্রাণীটি গোলক্রিমি এবং B প্রাণীটি মানুষ।গোলক্রিমির দেহে নিচে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায়:১. দেহ নলাকার, পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত এবং দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম।২. পৌস্টিক নালি সম্পূর্ণ (মুখছিদ্র ও পায়ুছিদ্র উভয়ই বিদ্যমান)।৩. দেহ গহ্বর অনাবৃত, প্রকৃত সিলোম নয়।৪. সংবহনতন্ত্র এবং শ্বসনতন্ত্র অনুপস্থিত।৫. সাধারণত এক লিঙ্গ।উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে A প্রাণীটিকে (গোলক্রিমি) Nematoda পর্বে রাখা হয়।আবার, মানুষের ক্ষেত্রে নিচে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায়:১. ভ্রূণ অবস্থায় দেহের পৃষ্ঠদেশের মাঝ বরাবর একটি নরম, নমনীয়, দণ্ডাকার, দৃঢ়, অখণ্ডায়িত নটোকর্ড থাকে, যা মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।২. পৃষ্ঠদেশে একক, মধ্যম, ফাঁপা, স্নায়ুরজ্জু থাকে।৩. মানুষের দেহ হালকা লোমে আবৃত, পায়ের তলা, হাতের তালু ও মুখমণ্ডল লোমবিহীন।৪. রক্ত সংবহনতন্ত্র উন্নত ও বদ্ধ প্রকৃতির।৫. বক্ষদেশে একজোড়া স্তনগ্রন্থি (স্ত্রী-পুরুষ উভয় দেহে) রয়েছে, যা স্ত্রীদেহে কার্যকর এবং পুরুষে নিষ্ক্রিয় থাকে।৬. মানুষের মস্তিষ্ক সুগঠিত এবং সর্ববৃহত্।উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে B প্রাণীটকে (মানুষ) Chordata পর্বে রাখা হয়।প্রভাষক, রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা | 113,415 |
চাঁদপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৪৫ | ২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৪৬ | চাঁদপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | null | সাবেক প্রতিমন্ত্রী মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/436447 | চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আ ন ম এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন চাঁদপুরের একটি আদালত। মুখ্য বিচারিক হাকিম শায়লা শারমিনের আদালত গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।২০১০ সালে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আমুজান এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী লীগের কর্মী পলাশ মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এই মামলায় ২৭ জানুয়ারি আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।এহছানুলের আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে বর্তমানে চাঁদপুর ও কচুয়া আদালতে ৩৬টি মামলা বিচারাধীন। মিলন ওমরাহ পালন করতে গত ২২ ডিসেম্বর সৌদি আরব গেছেন।কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার করা গাড়ি ভাঙচুর ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের মামলায় এহছানুল হক ২০১০ সালের ১৪ মার্চ গ্রেপ্তার হন। তিনি ২০১১ সালের জুনে কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তি পান। | 110,479 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৭ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০১ | গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ | 0 | উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তিনজনকে কুপিয়ে জখম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/749803 | স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় গতকাল রোববার সকালে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছেন কয়েকজন তরুণ।আহত ব্যক্তিরা হলেন পাইকপাড়ার আবদুল রশিদ (৫২), তাঁর ছোট ভাই দুলাল উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও একই এলাকার আবদুল মালেক (৪৫)।এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন স্কুলছাত্রী গতকাল সকাল ১০টার দিকে স্কুলে যাচ্ছিল। পাইকপাড়ায় আরিফ হোসেন, মিনহাজ হোসেন, ফিরোজ উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর মণ্ডল নামের চার তরুণ ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। এ সময় আবদুল রশিদ এর প্রতিবাদ করলে তরুণেরা চলে যান। কিছুক্ষণ পর তাঁরা পিস্তল, চায়নিজ কুড়াল, রামদাসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রশিদকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। খবর পেয়ে তাঁর ছোট ভাই দুলাল উদ্দিন ও আবদুল মালেক এগিয়ে এলে তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তরুণেরা পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ওই তরুণেরা মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এর আগেও ফিরোজকে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মাথায়, ঘাড়ে, পেটে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে দুলাল উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর।কালিয়াকৈর থানার সহকারী উপপরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম (এএসআই) বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। | 195,400 |
প্রতিনিধি, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৪২ | ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৮ | নির্বাচন,নারায়ণগঞ্জ,সোনারগাঁ,রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,বিএনপি | 0 | সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে মান্নানের পদত্যাগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1567033 | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে গতকাল সোমবার পদত্যাগ করেছেন আজহারুল মান্নান। তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।আজহারুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ার সবুজ সংকেত দেওয়ার কারণে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। আমার পদত্যাগপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব গ্রহণ করেছেন।’বিএনপির স্থানীয় নেতা–কর্মীরা বলছেন, আজহারুল মান্নান নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী। তিনি কর্মীবান্ধব নেতা। জনপ্রিয়তার কারণেই তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের আমলে ২৫টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, একাধিকবার জেল খেটেছেন। দলের অন্য নেতা-কর্মীদের মামলার ব্যয়ভার বহন করেছেন। এলাকায় জনপ্রিয়তা থাকায় এবং কর্মীবান্ধব হওয়ার কারণে আজহারুল মান্নানকে সবাই সমর্থন দিয়েছেন। | 383,794 |
হাসান ইমাম | life-style | জীবনযাপন | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৩৪ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:১০ | নকশা,ফ্যাশন | 0 | ফ্যাশনে জীবনযাপনে | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/724642 | পশ্চিমা পোশাক, দেশি ডিজাইনারদের হাতে পেয়েছে নতুন আকৃতি। ভারী মেকআপ ছেড়ে সহজাত বা ন্যাচারাল লুকেই মজে থাকা। চুলের স্টাইলে মুক্তা-পাথরের ব্যবহার বা চেনা শাড়িতেই নতুন নতুন নকশা। ছেলেদের পোশাকে প্রিন্টের ছড়াছড়ি। ভাত-ডালের পাশাপাশি পিৎজা, পাস্তা বা সু্যপ খেয়ে স্বাদ বদল। ঘরে তৈরি খাবার ছাড়াও বাইরে খাওয়ার ট্রেন্ড—এসবই ছিল ২০১৫ সালের পরিচিত জীবনধারা। বছরের শেষ দিকে এসে তাই একবার ফিরে দেখা যেতে পারে দেশের ফ্যাশন আর জীবনযাপনের এই দিকগুলো। ডিজাইনার শাহরুখ আমিন জানালেন, পুরো বছরই এবার রঙের খেলা প্রাধান্য পেয়েছে৷ পোশাক, গয়না, জুতা, ব্যাগ বা রোদচশমা—সবকিছুতেই সেটা দেখা গেছে৷ মূলত ষাটের দশকের ফ্যাশন ধারা ধরেই চলেছে পুরো বছর৷ সবকিছুতেই ঢোলা ও ওভার সাইজ বিষয়টা মাথায় রেখেছে৷ ফুলেল নকশার ছিল জয়জয়কার৷জাম্প স্যুট, গাউন, ম্যাক্সি ড্রেসের মতো পোশাকগুলো দেশি ফ্যাশনে দাপিয়ে বেড়াল পুরো বছর। তবে সেটা হুবহু পশ্চিমা ধাঁচে নয়, ডিজাইন পাল্টে দেশে পরার উপযোগী করেছেন ডিজাইনাররা। ম্যাক্সি ড্রেসের ক্ষেত্রে কাপড়ে উজ্জ্বল রং ছিল। আর কোমরের দিকে দেখা গেছে রাবারের ব্যবহার। স্ট্রিং ও বেল্ট দিয়েও কোমর জুড়ে রেখেছে কোনো কোনো ড্রেস। সুতি, সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, খাদি, মসলিন, তাঁত, রেশমি ইত্যাদি কাপড়ের চাহিদা ছিল বছরের বিভিন্ন সময়ে। ঋতুভেদে পাল্টে গেছে এসব পোশাক। তবে সব ধরনের পোশাকেই ঢিলেঢালা ভাবটা ছিল। পাড়ওয়ালা শাড়ি চলেছে এই বছর। শাড়ির জমিনের সঙ্গে পাড় বা আঁচলে বিপরীত রং দেখা গেছে। ব্লকপ্রিন্টের চল দেখা গেছে শাড়িতে। বাটিক, ভেজিটেবল ডাই, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ নানা ধরনের কাজ চলেছে। অনেক শাড়ির আঁচল ও পাড়ে দেখা গেছে ভিন্ন ধরনের কাপড়ের যোগ। কামিজের ওপর কটি চলেছে। পালাজ্জো আর কুঁচির সালোয়ার ছিল চাহিদার শীর্ষে। ছেলেদের শার্টে নানা ধরনের প্রিন্ট চলেছে ষাটের দশকের মতো। টি-শার্টেও প্রিন্ট দেখা গেছে। জ্যামিতিক নকশা বা ডট প্রিন্ট ছিল বেশ জনপ্রিয়। বর-কনের বিয়ের পোশাকে এবার নানা ধরনের রং দেখা গেছে। অনেকেই সম্পূর্ণ লালের বাইরে এসে বেছে নিয়েছেন নীল, বেগুনি, কমলা, গোলাপি, সবুজ বা জলপাই রঙের পোশাক। টিউন ফিটের লম্বা পাঞ্জাবি চলেছে নানা উজ্জ্বল রং নিয়ে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ পরার মতো ধরাবাঁধা বিষয়টা এবার ছিল না। সুন্দর কাট আর নিখুঁত ফিটিং হলেই হলো। হাতাকাটা, বোট নেক, হাই নেক, হল্টার কাট, লম্বা হাতার পাশাপাশি ঘটি হাতার ব্লাউজও দেখা গেছে। লেইসের ব্যবহার আর জমকালো কাপড় এমনই ট্রেন্ড দেখা গেছে ২০১৫ সালের ব্লাউজে। তবে শাড়ির সঙ্গে দেওয়া ব্লাউজের পিস দিয়ে তৈরি ব্লাউজ একদম চলেনি এবার। ব্লাউজে নানা রকম ঘণ্টা ও ঝুনঝুনি দেখা গেছে।মেকআপ: নো মেকআপ লুক বা ন্যাচারাল লুক অর্থাৎ সহজাত চেহারা—এই ধারণাতেই পুরো বছর সেজেছেন মেয়েরা। তাই ত্বকের কাছাকাছি রং বেছে নিয়ে মেকআপ করতে দেখা গেছে। রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন বলেন, ‘মেকআপে চলতি বছরে নতুন ধারণার পাশাপাশি পুরোনো দিনের সাজ দেখা গেছে সমানতালে। ঠোঁটে গাঢ় উজ্জ্বল রঙের পাশাপাশি চলেছে ন্যুড লিপস্টিক। উৎসবের দিনগুলো ছাড়াও কপার বা বাদামি টোনে চোখ সাজাতে দেখাতে গেছে মেয়েদের। এই বছর চোখের সাজে কাজলের ব্যবহার খুব একটা ছিল না। তার বদলে চোখের ভেতরের অংশে সাদা কাজল দিয়ে চোখটা বড় দেখানোর চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। সীমার শ্যাডো ব্যবহার করে চোখ সাজানো হয়েছে ২০১৫ সালে।’চুলের সাজে: নানা ধরনের মুক্তা-পাথর দিয়ে চুল সাজাতে দেখা গেছে মেয়েদের। গলার মালা দিয়ে চুল সেট করে নতুনত্ব আনা হয়েছে। বব কাটের চল ছিল শীত ও গরমের দিনগুলোতে। তবে সেটার ধরনে দেখা গেছে ভিন্নতা। লেয়ারে লেয়ারে বব কাটে চুল ছেঁটেছে মেয়েরা। কার্ল, স্পাইরাল, লুজ বান ইত্যাদি স্টাইল দেখা গেছে ছোট চুলের মধ্যে।মেয়েদের পাশাপাশি চুলের স্টাইলে কম যায়নি ছেলেরা। ছেলেদের হেয়ার স্টাইলে অবশ্য দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় ও অভিনেতাদের প্রভাব দেখা গেছে বেশি। বিশ্বকাপ চলাকালে সাকিব আল হাসানকে দেখা যায় নতুন হেয়ার স্টাইলে। এরপর তা দেখা গেছে সারা দেশের তরুণদের মাথায়।অনুষঙ্গ: ক্যাটস আই, ক্লাব মাস্টার, মার্কারি রোদচশমা চলেছে বছরজুড়ে। রিস্টব্যান্ড ঘড়ি, চুড়ি, নেইল আর্ট, অলংকারের মতো ব্রোচ পরতে দেখা গেছে মেয়েদের। কানের বাইরের অংশে কাফ পরেছেন ফ্যাশন-সচেতন মেয়েরা। এ ছাড়া নানা রকম আংটি, পাথরের ক্লিপ, বটুয়া, ক্লচ ব্যাগ, বড় ডায়ালের হাতঘড়ি, নানা ধরনের ছবি, স্লোগান বা ইমোটিকনযুক্ত ব্যাজের চল ছিল তরুণ-তরুণীদের কাছে।গয়না: নানা ধরনের ধাতব গয়না ছিল এ বছর হিট তালিকায়। সেই সঙ্গে কাপড়ের তৈরি গয়না চলেছে এবার। নেকলেসটা পরতে দেখা গেছে গলাজুড়ে।জুতা: নানা ধরনের উপকরণে তৈরি জুতা পরতে দেখা গেছে ছেলে ও মেয়েদের। আবহাওয়া বুঝে হালকা ও পুরু জুতা বেছে নিয়েছেন অনেকে। ছেলেদের ক্যাজুয়াল মোকাসিনে নানা ধরনের নকশা ও রং দেখা গেছে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই।খাবার: খাবার নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল বেড়েছে। বাসায় অতিথিকে নিজে রেঁধে খাওয়ানোর মতো আয়োজন দেখা গেছে সারা বছর। ঘরের বাইরে রেস্তোরাঁয় পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দলবেঁধে খেতে গেছেন অনেকে। বড় বড় শহরে তাই বেড়েছে রেস্তোরাঁর সংখ্যা। নানা ধরনের রান্নার প্রতিযোগিতার আয়োজন চলেছে বছর জুড়ে।নানা ধরনের আয়োজন: বছরের শুরু থেকেই নানা ধরনের পোশাকের নকশা, অন্দরসজ্জা, ছবি তোলা, বনসাই তৈরি, পোষা প্রাণী, সৌন্দর্যচর্চা, ডায়েট কাউন্সেলিং ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল। ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর মণিপুরিপাড়ায় আয়োজন হয় হস্তশিল্প মেলা। বছরের নানা সময়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা, তাঁতবস্ত্র মেলা, জামদানি শাড়ির প্রদর্শনী, আসবাব মেলা, কাবাব উৎসব, বিরিয়ানি ফেস্ট, আইসক্রিম উৎসব, ঢাকা ফুডিজের আয়োজনে সেহ্রি নাইট, বার্গার ফেস্ট, পরিবেশবান্ধব পণ্য নিয়ে যাত্রা আয়োজন করে মাটির মেলা। লাক্সের এক আয়োজনে এবার প্রথম ঢাকায় আসেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, এভারেস্ট একাডেমি আয়োজন করে পর্বত আরোহণ ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় টিকে থাকার প্রশিক্ষণ, বিবিয়ানা ফ্যাশন হাউসের আয়োজনে জুন মাসে আয়োজন হয় ‘সিম্ফনি অব নিডল ওয়ার্ক ২০১৫’, সাদাকালো আয়োজন করে ‘সাদাকালো ইন কিউবিজম আর্ট’, সৌন্দর্যসেবা নিয়ে কাজ করেন বা লেখেন এমন নারীদের গ্রুপ পপ অব কালারের আয়োজনে ঢাকায় আয়োজন হয় এক মিলনমেলা। সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলীয় দূতাবাসে আয়োজন হয় কারুশিল্প নিয়ে মেলা ঢাকা ক্র্যাফট বাজার। ডেনিম নিয়ে প্রদর্শনী ছাড়াও চলতি মাসে ঢাকায় ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের আয়োজনে দেশি-বিদেশি ডিজাইনারদের নকশা করা খদ্দর নিয়ে আয়োজন করা হয় দুই দিনের খাদি উৎসব। | 187,618 |
বদরূল ইমাম | opinion | মতামত | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:২৪ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:২৭ | মতামত,লেখকের কলাম,বদরূল ইমাম | null | বাংলাদেশে জ্বালানির নিকট, মধ্যম ও দূর ভবিষ্যৎ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1047775 | সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জ্বালানিবিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ডেনমার্কের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এন্ডার্স হেসেলার্জার নিকট ও দূরবর্তী ভবিষ্যতের জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় বহুমাত্রিক জ্বালানি ব্যবহারের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে নবায়নযোগ্য—যেমন সৌর, বায়ু, জৈব জ্বালানির ব্যাপক প্রসারের পথে যথেষ্ট জোর দেওয়া উচিত। তিনি জানান, ডেনমার্কে বর্তমানে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৩০ শতাংশ জোগান দেয় নবায়নযোগ্য সৌর ও বায়ুশক্তি। আর এগুলোর ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধি ঘটার মাধ্যমে ২০৩০ সালে তা দেশটির মোট ব্যবহৃত জ্বালানির ৫০ শতাংশ জোগান দেবে। অনেক ইউরোপীয় দেশ একইভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে সমতালে অগ্রসর হয়ে চলেছে।১৯৯০-এর দশকে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পিটার ওডেল ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ২০৪০ সাল পর্যন্ত বিশ্ব সনাতনী জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লার ওপর মূলত নির্ভর করে থাকবে। ২০৬০ থেকে তেল-গ্যাস-কয়লা সনাতনী জ্বালানির সঙ্গে সৌর, বায়ু ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিযোগিতা চরমে পৌঁছাবে এবং ২০৭০ সালের পরই এ প্রতিযোগিতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিজয়ের পথ দেখতে পাবে। ডেনমার্ক বা অনেক ইউরোপীয় দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপক প্রসার দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তবে কি নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিশ্ববিজয় ২০৭০ সালের আগেই ঘটে যাবে?ডেনমার্ক বা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো সহজলভ্য নয়, যেমনটি বাংলাদেশে রয়েছে। তথাপি বাংলাদেশে জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির (সৌর, বায়ু, জৈব ইত্যাদি) অংশীদারত্ব মাত্র ৩ শতাংশ, যা কিনা ডেনমার্কের তুলনায় অনেক অনেক কম। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশীদারত্ব মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৫ শতাংশ হওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশীদারত্ব ১০ শতাংশ হবে বলে সরকার প্রাক্কলন করে। সে অনুযায়ী ২০২১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট(সে সময় পরিকল্পিত মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজারের ১০ শতাংশ) হওয়ার কথা। অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি (মূলত সৌর ও জলবিদ্যুৎনির্ভর) বিদ্যুতের পরিমাণ বর্তমান ৪৫০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট হওয়ার কথা। অথচ সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত প্রকল্প দৃশ্যমান না থাকায় তা বাস্তবায়িত হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করে না।বাংলাদেশে জ্বালানি মিশ্রণে সৌর জ্বালানির অংশ খুব কম তথা ২ শতাংশের নিচে। তবু সৌর জ্বালানি এ দেশে এক অর্থে সফলতা অর্জনের দাবি রাখে এ কারণে যে এ দেশে বিশ্বের দ্রুততম গতিতে সোলার হোম সিস্টেমের (এসএমএস) প্রসার ঘটে চলেছে। দেশে প্রতি মাসে প্রায় ৬০ হাজার এসএমএস স্থাপিত হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ লাখ বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছেছে, যাদের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১৯৫ মেগাওয়াট। পরিমাণগত দিক থেকে এ পরিমাণ বিদ্যুৎ সামান্যই বটে (দেশে বিদ্যুতের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার মেগাওয়াট)। কিন্তু এটির অবদান এই অর্থে বিশাল যে এর ফলে দেশের গ্রিডহীন ও দূরবর্তী অঞ্চলে বিরাট এক সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। এই জনগোষ্ঠী গ্রিড লাইনের মাধ্যমে কখনো বিদ্যুতের সুবিধা পেত না। সৌরবিদ্যুৎ তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে।দূরবর্তী এক গ্রামীণ বাসস্থানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া এক কথা আর দ্রুত ও ব্যাপক শিল্পায়নের লক্ষ্য নিয়ে অপেক্ষমাণ একটি বিরাট জনগোষ্ঠীর বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো ভিন্নতর বটে। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ বর্তমানে জ্বালানি-সংকটে রয়েছে। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ ছাড়িয়ে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে বাংলাদেশের জনপ্রতি আয় বৃদ্ধি করতে হবে, যার জন্য জনপ্রতি জ্বালানি ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করা অত্যাবশ্যক।বর্তমানে বাংলাদেশে দ্রুত ও ব্যাপক শিল্পায়ন ও বিদ্যুতায়নের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো প্রাথমিক জ্বালানির স্বল্পতা। দেশটি দীর্ঘ সময় ধরে নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর প্রায় একক জ্বালানির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। ক্রমাগতভাবে গ্যাস মজুত কমে গিয়ে নিঃশেষ হওয়ার আশঙ্কা বাস্তবে আসন্ন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শিগগিরই জ্বালানি-সংকটে পড়ে। আর এর জন্য কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না বিধায় নেহাত অপ্রস্তুত বাংলাদেশ এ-সংকট থেকে বের হতে পারে না। দেশের উত্তরাঞ্চলে বড় কয়লার মজুত থাকা সত্ত্বেও কয়লাখনি উন্নয়নের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা না থাকায় গ্যাসের বিকল্প হিসেবে কয়লা ব্যবহার সম্ভব হয় না। তাই সরকার বর্তমান, নিকট ও দূরবর্তী ভবিষ্যতের সমাধান খুঁজতে আমদানি করা জ্বালানি—যেমন আমদানি করা কয়লা, এলএনজি ও তেলের ওপর নির্ভর করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৯০ শতাংশ হবে আমদানি করা। আর এটি সম্ভব করতে বাংলাদেশকে মোটা অঙ্কের অর্থ জোগান দিতে হবে।বিশ্ববাজারে তেল, এলএনজি বা কয়লার দামের বর্তমান নিম্ন অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হবে না; বরং তা আবার আগের মূল্যে বা অধিকতর মূল্যে ফিরে যাবে। সুতরাং দীর্ঘ মেয়াদে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হলে অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হবেবিশ্ববাজারে তেল, এলএনজি বা কয়লার দামের বর্তমান নিম্ন অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হবে না; বরং তা আবার আগের মূল্যে বা অধিকতর মূল্যে ফিরে যাবে। সুতরাং দীর্ঘ মেয়াদে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হলে অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হবে, শিল্পজাত দ্রব্য ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে। দেশে চলমান গ্যাসঘাটতি মেটাতে স্বল্প মেয়াদের জন্য উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি যৌক্তিক মনে করা যায়, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদের জন্য উচ্চমূল্যের এলএনজির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হওয়ার যুক্তি প্রশ্নবিদ্ধ। এটির মোক্ষম বিকল্প হলো দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান জোরালো করা এবং প্রাপ্ত গ্যাস সম্পদের দ্রুত উন্নয়ন করা।বাংলাদেশে তেল-গ্যাসের জন্য জোরালো অনুসন্ধানকাজ প্রায় এক দশক ধরে হয় না। এর ফলে দীর্ঘদিন দেশের মজুতে উল্লেখযোগ্য কোনো গ্যাস সংযোজন ঘটেনি। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ১০টির কম অনুসন্ধান কূপ খননের ধারা যেকোনো মানদণ্ডে একটি অবহেলিত কর্মযজ্ঞের সাক্ষ্য বহন করে। যদিও সমুদ্রবিরোধ নিষ্পত্তির রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক বাংলাদেশ বড় একটি বিরোধহীন সমুদ্র অঞ্চল অর্জন করে, সেখানে গ্যাস-তেল অনুসন্ধানে জোরালো কার্যক্রম শুরু হয়নি। অপরপক্ষে মিয়ানমার ২০১২ সালে এ রায় ঘোষণার পর থেকেই তার সমুদ্র অঞ্চলে জোরালো অনুসন্ধানকাজ করার মাধ্যমে বেশসংখ্যক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার অংশে (রাখাইন বেসিন) গ্যাস প্রাপ্তির যে সাফল্য দেখা গেছে, একই রকম সাফল্য সমুদ্র সীমানার এপারে বাংলাদেশের সমুদ্র অংশেও পাওয়া যাবে। কারণ, মিয়ানমারের রাখাইন বেসিন ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র বেসিন মূলত একই ভূতাত্ত্বিক কাঠামোর অংশ। এটি হতাশাজনক যে বাংলাদেশ সমুদ্রে যথেষ্ট অনুসন্ধানকাজের মাধ্যমে উপরিউক্ত তত্ত্বটি প্রমাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ দৃশ্যপট বড় আকারের পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে। সরকারি প্রাক্কলন ও প্রচার অনুযায়ী, ২০২০ দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বহর বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা দীর্ঘস্থায়ী ও সাশ্রয়ী প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ করা। দেশে ভবিষ্যতে জ্বালানি মিশ্রণে বিরাট পরিমাণ আমদানি করা কয়লা, আমদানি করা এলএনজি, আমদানি করা ভারতীয় বিদ্যুৎ, আমদানি করা তেজস্ক্রিয় জ্বালানি, আমদানি করা তেল অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। তবে এ ধরনের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদি আমদানি দেশের অর্থনীতিতে যে ধাক্কা দেবে, তা কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, সে প্রশ্ন রয়েই যায়। সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশকে অপর এক সংকটে ফেলে দিতে পারে।নিকট ও মধ্যবর্তী (২০২০-৩০) ভবিষ্যতে এই সংকট এড়াতে জ্বালানি আমদানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে বাংলাদেশের উচিত অনতিবিলম্বে দেশে, বিশেষ করে সমুদ্রের গ্যাস অনুসন্ধানের জোরালো ও চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু করা, সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মাত্রায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা ও দেশীয় কয়লা উত্তোলনে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেওয়া। মধ্যম ও দূরবর্তী (২০৩০-৫০) ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে নেপাল, ভুটান ও ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং বাস্তবায়ন সাপেক্ষে আন্তদেশীয় পাইপলাইন গ্যাসসংযোগ প্রকল্প (ইরান-পাকিস্তান-ভারত অথবা তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান- পাকিস্তান-ভারত) সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। অতি দূরবর্তী ভবিষ্যতে (২০৬০ ও তারপর) কেবল বাংলাদেশই নয়; বরং সমগ্র বিশ্বের জ্বালানি বাজারে নবায়নযোগ্য (মূলত সৌর, বায়ু ও জৈব) জ্বালানি সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হয়ে দেখা দেবে এবং ক্রমান্বয়ে এগুলো বিশ্ব জ্বালানি বাজারকে সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করবে। সে সময়টি (২০৮০?) বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষাকৃত সুখকর হতে পারে যখন তেল-গ্যাস-কয়লার মতো জ্বালানিগুলো কেবল ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেবে।ড. বদরূল ইমাম: অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। | 278,164 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ মার্চ ২০১৪, ০১:৩২ | ১১ মার্চ ২০১৪, ০১:৩২ | সাভার,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | সাভারে ১৬ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/166012 | নিখোঁজ হওয়ার ১৬ দিন পর ঢাকার সাভার পৌর এলাকার বখতারপুর মহল্লার শিশু আবদুর রশীদের (৪) গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।রশীদ পোশাকশ্রমিক মিজানুর রহমান ও লাভলী বেগমের একমাত্র সন্তান। লাভলী বেগমের কাছে টাকা পাওনা নিয়ে আবদুল কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তি রশীদকে খুন করতে পারে বলে ধারণা করছেন মিজানুর ও পুলিশ।সাভার মডেল থানার পুলিশ ও শিশুটির পারিবারিক সূত্র জানায়, আবদুর রশীদ গত ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টার দিকে বখতারপুরের ভাড়াবাড়ির পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সে নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। গত রোববার বিকেলে বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে একটি মাঠের বালুর মধ্য থেকে রশীদের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বিলপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে রশীদের লাশ দাফন করা হয়।মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মাস দেড়েক আগে তাঁর স্ত্রী লাভলী বেগম মাসে তিন হাজার টাকায় এলাকার দরজি আবদুল কাইয়ুমের কাছে সেলাইয়ের কাজ শিখতে যান। তিন দিন পর সাভারের একটি পোশাক কারখানায় লাভলীর চাকরি হওয়ায় সেলাই শেখা বাদ দেন। এরপর কাইয়ুম তাঁদের কাছে টাকা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কাইয়ুমের তুমুল বাগিবতণ্ডা হয়। এর কয়েক দিন পরই রশীদ নিখোঁজ হয়। এরপর কাইয়ুম স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এলাকা ছেড়ে যান।এ ঘটনায় মিজানুর রহমান সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে আবদুল কাইয়ুমকে সন্দেহভাজন হিসেবে আসামি করা হয়েছে।মিজানুর বলেন, ওই এলাকার এক নারী তাঁদের জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার দিন দুপুরের দিকে তাঁর ছেলে রশীদকে কাইয়ুমের সঙ্গে যেতে দেখেছে।জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘রশীদ হত্যার রহস্য আমাদের কাছে প্রায় উন্মোচিত। কাইয়ুমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ | 57,439 |
নোয়াখালী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:২৭ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:২৮ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ নিহত ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/639861 | নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছাগলে শিমগাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ঘোষফিল্ড বাজারে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার বিকেলে চরবাটা ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে রাস্তার পাশে কেফায়েত উল্লার (৩০) লাগানো শিমগাছ প্রতিবেশী মো. মোস্তফার ছাগলে খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে কেফায়েত ও তাঁর মায়ের সঙ্গে মোস্তফার ছেলে সুমনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁরা সুমনকে মারধর করেন। এ ঘটনার জের ধরে রাত আটটার দিকে ঘোষফিল্ড বাজারে কেফায়েত ও মোস্তফার পরিবারের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। এতে কেফায়েত উল্লা, মো. মোস্তফা, মো. হানিফ ও মো. সুমন আহত হন। বাজারে উপস্থিত লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।সূত্র জানায়, কেফায়েতের অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকেরা তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কেফায়েত মারা যান।সুবর্ণচরের চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বুধবার কেফায়েতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। | 171,562 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:২৮ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:২৯ | ভারত | 0 | আবের ‘ফলপ্রসূ ও ঐতিহাসিক’ ভারত সফর শেষ | http://www.prothom-alo.com/international/article/711559 | জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তিন দিনের ভারত সফর শেষ করে গতকাল রোববার দেশে ফিরেছেন। আবের সফর শেষে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে ফলপ্রসূ বলে আখ্যায়িত করেছে। খবর ডিএনএর।আবের সফরকালে অসামরিক পরমাণু খাতে সহযোগিতা, ভারতে জাপানের সহায়তায় প্রথম বুলেট ট্রেন চালু এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির বিষয়ে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।আবের সফর শেষে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ টুইটারে এক বার্তায় এই সফরকে ‘ফলপ্রসূ এবং ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যায়িত করেন।গত শনিবার অসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘অসামরিক জ্বালানি সহযোগিতার স্মারক স্বাক্ষর বাণিজ্য ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি চুক্তির চেয়েও বড় কিছু। দু্ই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ এটি।’ | 183,394 |
কামাল আহমেদ | opinion | মতামত | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৭ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৭ | বিশ্বায়নের কাল,কামাল আহমেদ,মতামত,লেখকের কলাম,রাজনীতি | null | ক্ষমতার লড়াইয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/89305 | প্রায় তিন সপ্তাহ দেশে কাটানোর পর গত সপ্তাহে যখন আমরা অবরুদ্ধ ঢাকা ছাড়ি, তখনো অবরোধ এতটা আতঙ্কজনক রূপ নেয়নি। সেটা ছিল অবরোধের দ্বিতীয় দিন। তবে প্রথম দিনেই আটজনের প্রাণহানির খবর ছিল সেদিনের সংবাদ শিরোনাম। আগুনে বোমায় অগ্নিদগ্ধ খেটে খাওয়া মানুষের যন্ত্রণাকাতর চেহারা আর ততোধিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত স্বজনদের আহাজারির বর্ণনায় সেদিনের পত্রিকার পাতাগুলো ছিল ভরা। ওই সব করুণ কাহিনি একবারে পড়ে শেষ করা যায় না। বারবার থামতে হয়। নিজের মনের মধ্যে এক অজানা শঙ্কা বারবার উঁকি দেয়। ওই পরিণতি তো আমারও হতে পারত? যে রাজনীতির সঙ্গে এসব খেটে খাওয়া মানুষের সম্পর্ক পাঁচ বছরে শুধু এক দিন, ভোটের দিনের, সেই রাজনীতির লড়াইয়ের অসহায় শিকার এঁরা। এঁদের সংখ্যা এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।একুশ শতকের প্রথম দশকে আমরা প্রথম শুনতে পাই ‘কোলাটরাল ড্যামেজ’ কথাগুলো। যুদ্ধবাজ বুশ ও ব্লেয়ার জুটি যখন ইরাকে হামলা চালান, তখন হতাহত নিরীহ ইরাকিদের বর্ণনা করতে প্রথম ব্যবহূত হয় এই কোলাটরাল ড্যামেজ (অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি) শব্দমালা। বাংলাদেশে হাসিনা-খালেদার ক্ষমতার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তিরাও কি সেই একই ধরনের কোলাটরাল ড্যামেজের নিরীহ শিকার নয়? লড়াইটা এখানে সামরিক না হলেও, ক্ষমতার দ্বন্দ্বটা একই রকম। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও পাশ্চাত্যের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ভাষায় কোলাটরাল ড্যামেজের সংজ্ঞা হচ্ছে, যুদ্ধকালে সামরিক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সময় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে যাওয়া বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি।রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করবে, তাতে অংশ নেওয়ার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবে এবং তার মাধ্যমে জনসমর্থনের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করবে—সেটাই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দলীয় সমর্থকদের কেউ হতাহত হলে দলীয় নেতা-নেত্রীরা তাঁদের চিকিৎসা ও ক্ষেত্রবিশেষে পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়ে থাকেন। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে এ ধরনের অনেক দৃষ্টান্ত আছে। দলের কর্মসূচি পালনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রতি এই দায়িত্ব পালন অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু দলীয় কর্মসূচির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দলের বাইরের মানুষের ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের সেই দায়িত্ববোধ একেবারেই দেখা যায় না। এই দায়িত্বহীনতার অবসান প্রয়োজন। প্রতিটি দলকে তার রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিপূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে। না হলে যে কর্মসূচিতে জীবনহানির ঝুঁকি আছে, সে ধরনের কার্যক্রম বাদ দিতে হবে। এটি যে শুধু বর্তমান বিরোধী দলের জন্য প্রযোজ্য তা নয়, সব দলের জন্যই এটা একটা নৈতিক দায়িত্ব হওয়া উচিত।রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার অসহায় নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ দাবির কথা কেউ বলেন না। অথচ, তাঁদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসার দায় তাঁদের নয়, রাজনীতিকদের। এঁদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হলেও, সরকার তাঁদের নিজেদের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করবে, সেই আশঙ্কা প্রবল। সুতরাং, এ ক্ষেত্রেও নাগরিক উদ্যোগ প্রয়োজন। আশা করি, রানা প্লাজায় হতাহতদের সহায়তায় যেসব নাগরিক গোষ্ঠী উদ্যোগী হয়েছিল, তারা এ ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসবে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে আমার পরিচয় প্রায় দেড় যুগ আগে। তাঁর বাসার ওপর তলাতেই ছিল বিবিসির অফিস। অ্যাসিডে আক্রান্ত মেয়েদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য তাঁর যে অক্লান্ত পরিশ্রম, সেই সূত্রেই তাঁর কাজের সঙ্গে আমার পরিচয়। সেদিন টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বোমার শিকার রোগীদের দুর্ভোগের নানা কাহিনি বলছিলেন। তাঁর বর্ণনায় উঠে এল গণপরিবহনে আমাদের নিজেদের ডেকে আনা বিপদের কথা। ছিনতাই ও ডাকাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ঢাকার সব সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এখন নিরাপত্তামূলক লোহার খাঁচা লাগানো হয়েছে। অনেক বাসে, বিশেষ করে দূরপাল্লার বাসে লোহার দরজা বসেছে চালক ও যাত্রীদের মাঝখানে। আর, নগরের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর অনেকটিই চলাচল করে দরজা বন্ধ করে। ফলে এগুলোর ভেতরে পেট্রলবোমা বা গান পাউডার ছড়ানোর পর আগুন মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং এসব যানবাহন থেকে লাফিয়ে পড়ার কিংবা বেরোনোর কোনো পথ থাকে না। পরিবহনমালিক ও কর্তৃপক্ষের উচিত হবে বিষয়টি ভেবে দেখা।হরতাল-অবরোধ, ককটেলবাজি কিংবা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর রাজনৈতিক সংস্কৃতি বাংলাদেশে নতুন নয় এবং বড় দুই দলের কেউই এই দোষ থেকে মুক্ত নন। তবে, এই ভয়াবহ নৃশংসতা এখন অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষ পোড়ানোর রাজনীতির জন্য তাঁর প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়াকে দায়ী করে বক্তৃতা করার সময় দিব্যি ভুলে থাকেন যে তাঁর মন্ত্রিসভার একজন প্রতিমন্ত্রী যুবনেতার বিরুদ্ধে রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়ে ডজন খানেক যাত্রীকে অগ্নিদগ্ধ করার মামলা ছিল, যেটি তাঁর সরকার ক্ষমতার জোরে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আদালতে তাঁর কোনো বিচার হয়নি। তিনি নির্দোষ হলে এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি দলটির আস্থা থাকলে প্রশাসনিক আদেশে মামলা তুলে নেওয়ার প্রয়োজন হতো না। দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো এই যে গণতান্ত্রিক শাসনামলে রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াইয়ে উভয় পক্ষই একে অন্যের চেয়ে অধিকতর অনিষ্টসাধনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। ফলে তৈরি হচ্ছে নৃশংসতার নতুন নতুন রেকর্ড।যানবাহনে হামলা, আগুনে বোমার ব্যবহার ও রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো নাশকতার জন্য কারা দায়ী, সেই প্রশ্নে বিতর্কের শেষ নেই। সরকারের কেউ কেউ বলছেন, এগুলোর জন্য দায়ী বিরোধী দল, আবার কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি এগুলোর ঠিকাদারি দিয়েছে জামায়াত-শিবিরকে। অন্যদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, এসব হামলার সঙ্গে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকেরা জড়িত নন, বরং সরকারের চর কিংবা ভাড়াটে দুষ্কৃতকারীরা বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর জন্য এসব হামলা চালাচ্ছে। বিরোধী নেতাদের এই দাবি সত্য হলেও, এসব প্রাণহানির দায় তাঁরা এড়াতে পারেন না। রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার সময় তাঁদের ভাবা উচিত, সেই কর্মসূচি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না। যে কর্মসূচির দায়িত্ব নিতে তাঁরা অক্ষম, সেই কর্মসূচি দেশবাসীর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চল বা রীতি বন্ধ হওয়া দরকার।ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের এসব দাবি-পাল্টাদাবির কোনটা সত্যি, সেই বিতর্কের হয়তো ইতি ঘটত যদি পুলিশ একটি হামলারও সুরাহা করতে পারত। কিন্তু বিস্ময়করভাবে তারা হুকুমের আসামি হিসেবে বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ড চাওয়ায় যতটা তৎপর ও সফল, আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করায় ততটাই নিষ্ক্রিয় বা ব্যর্থ। এর পাশাপাশি বিতর্কিত নির্বাচনকালীন সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর মন্তব্য ‘সমঝোতা হলে বিরোধী নেতারা কেউ কারাগারে থাকবেন না’ (ইত্তেফাক, ৩০ নভেম্বর ২০১৩) ভিন্ন ধরনের সন্দেহের জন্ম দেয়। যোগাযোগমন্ত্রীর বক্তব্যে ইঙ্গিত মেলে যে সরকার তার শর্ত মানতে বাধ্য করার কৌশল হিসেবে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনীতিকদের আটক করেছে। দ্বিতীয়ত, সাধারণ মানুষের আগুনে পোড়া কিংবা প্রাণহানির ঘটনাগুলোয় সরকারের কিছুই আসে যায় না, বরং তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিরোধীদের বশে আনা।ক্ষমতার রাজনীতিতে জীবনের প্রতি অবজ্ঞার এই অসুস্থ ধারার শেষ কোথায়?কামাল আহমেদ: প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন। | 33,028 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪, ২০:২৩ | ২৯ মে ২০১৮, ১১:৪৯ | ভারত | 0 | সুনন্দার মৃত্যুরহস্যের দ্রুত সমাধান চান শশী | http://www.prothom-alo.com/international/article/126807 | স্ত্রী সুনন্দা পুশকারের মৃত্যুরহস্যের দ্রুত সমাধান চান তাঁর স্বামী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর। আজ রোববার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্ধের কাছে একটি চিঠিও লিখেছেন তিনি।‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক খবরে বলা হয়, শশী থারুরের অভিযোগ, গণমাধ্যমে তাঁর স্ত্রী সুনন্দা পুশকারকে নিয়ে ভয়ংকর সব জল্পনা-কল্পনা চলছে। এ বিষয়ে নিয়ে সবার সামনে দ্রুত সত্য উন্মোচন হওয়া উচিত। এ কারণে আজ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্ধের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন।ওই চিঠিতে শশী থারুর বলেন, ‘সুনন্দার মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব গুজব প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে আমি শঙ্কিত। আমি আপনার কাছে আবেদন করছি, এ ব্যাপারে আপনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত করে সমাধানে আসতে বলুন।’গতকাল শনিবার নয়াদিল্লিতে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) তিনজন জ্যেষ্ঠ চিকিত্সকের নেতৃত্বে সুনন্দা পুশকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তে তাঁর শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। গতকালই লোধি রোডে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।গতকাল ফরেনসিক সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান সুধীর গুপ্ত বলেছিলেন, ‘স্বচ্ছতার জন্য আমরা সুনন্দার ময়নাতদন্ত ভিডিও করেছি। এটা একটা অস্বাভাবিক মৃত্যু। ময়নাতদন্তে তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কিন্তু এ মুহূর্তে হলফ করে কিছু বলা যাচ্ছে না। কয়েক দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’সুনন্দা পুশকারের শেষকৃত্য সেরে আজ হরিদ্বার গিয়েছেন শশী থারুর। কাল সোমবার তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে আগামীকাল সুনন্দা পুশকারের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন দেবে এআইআইএমএস।গত শুক্রবার রাজধানীর চানক্যপুরীর লীলা হোটেল থেকে ৫২ বছর বয়সী সুনন্দার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সভায় ব্যস্ত সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে লীলা প্যালেস হোটেলে স্ত্রীর কাছে যান শশী থারুর। কিন্তু হোটেলে কক্ষটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল। এ সময় সহযোগিতা চাইলে হোটেলের কর্মীরা তালা খোলেন এবং সেখানে সুনন্দার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। আজই তাঁদের হোটেল ছাড়ার কথা ছিল। নিজের বাড়িতে রঙের কাজ শুরু হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তাঁরা দুজনে লীলা হোটেলে ওঠেন। তবে তাঁরা ওই হোটেলের ৩৪২ ও ৩৪৫ নম্বর কক্ষে আলাদা আলাদা থাকতেন।২০১০ সালে দুবাইভিত্তিক ব্যবসায়ী সুনন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় শশী থারুরের। এটা দুজনেরই তৃতীয় বিয়ে।মন্ত্রীর পারিবারিক কলহের খবর প্রকাশিত হওয়ায় সুনন্দা আত্মহত্যা করতে পারেন বলে পুলিশের ধারণা। এ কারণে লীলা প্যালেস হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ, সুনন্দার মুঠোফোনের কললিস্ট ও টুইটার অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।কয়েক দিন ধরে পাকিস্তানি নারী সাংবাদিক মেহর তারার সঙ্গে টুইটারে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন সুনন্দা। মেহর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট এবং তাঁর স্বামীকে ফুসলানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মেহর বলেন, শশী থারুরের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। সুনন্দার মৃত্যুর পর এক টুইটে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে সুনন্দাকে ইঙ্গিত করে এক টুইটার বার্তায় মেহর বলেন, ‘সোনালি চুলো ওই নারীর মস্তিষ্ক তাঁর ব্যাকরণজ্ঞান ও বানানের চেয়েও দুর্বল।’সুনন্দা দাবি করেছিলেন, তাঁর স্বামী শশীকে মেহরের পাঠানো একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, শশী থারুর। তোমার সঙ্গে যখন প্রেম করি, তখন নিজেকে সামলাতে পারি না। আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। মনে রেখো, মেহর সব সময়ই তোমার।’ সুনন্দার দাবি, গত বছরের এপ্রিল থেকে এই ‘আহম্মক পাকিস্তানি সাংবাদিক শশীর পেছনে লেগে আছেন’। | 44,508 |
-1 | sports | খেলা | ২০ আগস্ট ২০১৫, ০২:৩২ | ২০ আগস্ট ২০১৫, ০২:৩২ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | বালোতেল্লির বুট | http://www.prothom-alo.com/sports/article/607531 | এ মৌসুমে ফুটবলে মারিও বালোতেল্লির অবদান কি জানেন? এক জোড়া বুট! ভুল পড়েননি। লিভারপুলে ব্রাত্য হয়ে পড়া ইতালিয়ান স্ট্রাইকার তাঁর স্পনসর পুমার সঙ্গে মিলে বাজারে ছেড়েছেন শিশুদের উপযোগী বুট। বালোতেল্লি বলে কথা, এই বুট মোটেই বাজারের আর দশ জোড়া বুটের মতো নয়! ‘সুপার মারিও’র চুলের ধরনের সঙ্গে মিল রেখে মোহিকান ধাঁচ রাখা হয়েছে বুটের পেছনের দিকে। শুধু তা-ই নয়, বালোতেল্লির বিখ্যাত ‘হোয়াই অলওয়েজ মি’ স্লোগানটাও বড় করে লেখা আছে পাশেই। ইতালি জাতীয় দলের জার্সির সঙ্গে মিল রেখে বুটের রং রাখা হয়েছে নীল। এতেই শেষ নয় ‘ব্যাড বয়’ বালোতেল্লির কীর্তি। বুট জোড়ার সঙ্গে মিল রেখে একটা বলও বাজারে ছাড়া হয়েছে। ইএসপিএন। | 161,550 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৫ মে ২০১৯, ১২:৪১ | ১১ মে ২০১৯, ১১:৫৫ | অ্যাপল,সাইবার নিরাপত্তা,সাক্ষাৎকার,তথ্যপ্রযুক্তি | 0 | ডিজিটাল প্রাইভেসি এখন বড় সমস্যা: টিম কুক | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1592283 | অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক ডিজিটাল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বা প্রাইভেসির বিষয়গুলো ঠিক রাখা এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। তিনি গ্রাহকের প্রাইভেসি সুরক্ষায় সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে কথা বলেছেন। এ ছাড়া মোবাইল ডিভাইসে গ্রাহকের দীর্ঘ সময় কাটানোর বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।টিম কুক বলেছেন, প্রাইভেসি বিষয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানে অবস্থান ঠিক থাকবে। গুগল ও ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। প্রাইভেসি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।গুগল বা ফেসবুকের মতো অ্যাপলের ব্যবসা বিজ্ঞাপননির্ভর নয়। তাই ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা থেকে বিজ্ঞাপন দেখানোর কোনো লক্ষ্য নেই অ্যাপলের।কুকের বলেন, ‘আপনারা আমাদের পণ্য নন। আমাদের পণ্য আইফোন ও আইপ্যাড। আপনার তথ্য আমরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করি। অনলাইনে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রাখে মানুষ। যাঁকে ট্র্যাক করা হয় তারা প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করে। যেন বাড়ির জানালা দিয়ে কেউ ঘরের ভেতর দেখার মতো বিষয় এটি।’গত জানুয়ারি মাসেও টাইমস পত্রিকায় এক উপসম্পাদকীয় লেখেন তিনি। সেখানে প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ এবং এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে সরকারি নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থানের কথা বলেন তিনি।প্রাইভেসিকে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করলেও এ সমস্যা সমাধানের উপায়ও দেখেন তিনি। তাঁর মতে, অন্যান্য সমস্যার মতো আমাদের একত্রে এর সমাধান বের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখান তিনি। তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার। | 400,688 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৫ এপ্রিল ২০১৫, ১২:৫৫ | ১৫ এপ্রিল ২০১৫, ১৪:১১ | আফ্রিকা | null | লিবিয়ার উপকূলে জাহাজডুবি, ৪০০ যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা | http://www.prothom-alo.com/international/article/503419 | লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে গত রোববার জাহাজডুবির ঘটনায় ৪০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁরা মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব যাত্রী লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইতালি যাচ্ছিলেন। উদ্ধার করা যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ বুধবার রয়টার্স ও এএফপির খবরে এ কথা জানানো হয়।উদ্ধার করা যাত্রীদের তথ্যের বরাত দিয়ে দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এক বিবৃতিতে জানায়, জাহাজে প্রায় ৫৫০ জন যাত্রী ছিল। লিবিয়া উপকূল ছেড়ে যাওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর জাহাজটি ডুবে যায়। সংস্থাটির মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, জাহাজের বেশির ভাগ যাত্রীই আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দা। তবে জাহাজটি ঠিক কখন ডুবেছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।গত সোমবার ইতালির কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, তারা ওই জাহাজের ১৪৪ জন যাত্রীকে জীবিত ও নয়জনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা ও সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে ১৪৪ থেকে ১৫০ জন বেঁচে যাওয়া যাত্রীকে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় শেষ প্রান্তে রেগজিও কালাবরিয়া নিয়ে আসা হয়েছে।আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা জানায়, উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যেও অনেক তরুণ ও শিশু রয়েছে।ইতালিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মুখপাত্র ফ্লাভিও দি জিয়াকোমো এএফপিকে বলেন, উদ্ধার হয়ে ফিরে আসা কয়েকজন যাত্রী তাঁদের জানিয়েছেন যে জাহাজে ৫০০ থেকে ৫৫০ জন যাত্রী ছিল। তিনি বলেন, ‘কীভাবে এ জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, ইতালীয় উদ্ধারকারী দলকে দেখার পর যাত্রীরা হুড়োহুড়ি শুরু করলে জাহাজটি ডুবে যায়।’ইতালির কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েক সপ্তাহে আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার পথে কয়েকটি নৌকা ধরা পড়েছে। গত শুক্রবার থেকে সোমবারের মধ্যে অভিযান চালিয়ে প্রায় আট হাজার ৫০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। | 131,429 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:১০ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:১৩ | যুক্তরাষ্ট্র | null | প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্ক করলেন ওবামা | http://www.prothom-alo.com/international/article/1395846 | যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের ব্যবহারের ফলে জটিল ইস্যুগুলোতে মানুষ বিকৃত ধারণা পাচ্ছে ও ভুল তথ্যের বিস্তার ঘটছে।গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়ার পর এই প্রথম এ ধরনের একটি সাক্ষাৎকারে ওবামা এ কথা বলেন। বিবিসি রেডিও ৪’এস-এর অনুষ্ঠানে ওবামার এই সাক্ষাৎকার নেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের পঞ্চম উত্তরসূরি প্রিন্স হ্যারি।ওবামা বলেন, ‘আমরা যারা নেতৃত্বে রয়েছি, তাদের সবাইকে ইন্টারনেটে নির্ভরযোগ্য একটি সাধারণ জায়গা সৃষ্টি করার পথ খুঁজতে হবে।’ বড়দিনের উৎসব চলাকালে বিবিসি রেডিও ৪’এস-এর অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারি ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিদের একজন। তিনি ওবামার ওই সাক্ষাৎকার নেন। ভবিষ্যতে প্রকৃত ঘটনা বাতিল করে মানুষ কেবল নিজের মতকে শক্তিশালী করে—এমন বিষয় পড়তে ও শুনতে চাইবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের একটি ভয়াবহ দিক হলো, মানুষ এখানে পুরো ভিন্ন বাস্তবতা পাবে এবং মানুষ তাদের মতকে শক্তিশালী করে, এমন তথ্য দ্বারাই আবৃত্ত থাকবে। মতের বহুত্ব রক্ষা করে ও সমাজকে বিভক্ত না করে এবং একটি সাধারণ জায়গা খুঁজে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে কীভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা যায়, সেটাই প্রশ্ন।’ওবামার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপকভাবে টুইটার ব্যবহার করেন। তবে সাক্ষাৎকারে ওবামা তাঁর নাম উল্লেখ করেননি।ওবামা বলেন, ‘পরস্পরকে জানা এবং সংযুক্ত থাকার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তবে অফলাইনে থাকাও জরুরি। পরস্পরকে জানতে মানুষের সরাসরি যোগাযোগটাও জরুরি।’প্রেসিডেন্ট হওয়ার চাপ কী রকম—এ প্রশ্নের জবাবে ওবামা বলেন, ‘এটা কঠিন, জনগণের নজরে থাকাটা নানাভাবে অপ্রীতিকর। নানাভাবে চ্যালেঞ্জিংও।’প্রেসিডেন্টের পদ ত্যাগের পর অনুভূতি কী—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবামা মিশ্র অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, দেশ কীভাবে এগোচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে মোটামুটিভাবে প্রশান্তিতে রয়েছেন তিনি।ওবামা সমস্যাগুলোকে বাতিল না করলেও ভবিষ্যৎ পৃথিবীর বিষয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ সব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমরা যদি নিজেদের পরিণতির কথা ভেবে নিজেরা দায়িত্বশীল হই, আমরা যদি সক্রিয় হই, কথা বলি, আমরা যদি যার যার সম্প্রদায়ের ভেতরেই কাজে নামি, আমরা যদি স্বেচ্ছাসেবী হই, তবে সব সমস্যাই সমাধানযোগ্য।’ | 349,296 |
-1 | sports | খেলা | ১৩ মে ২০১৭, ০১:৩৬ | ২৯ মার্চ ২০১৮, ১৫:১৬ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,ব্রাজিল | null | শীর্ষে ব্রাজিল | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1177891 | একটু ধন্দ লেগে যেতে পারে প্রশ্নটার উত্তর খুঁজতে গিয়ে। কোনটি বেশি ভালো—ব্রাজিলের কফি, না ব্রাজিলের ফুটবলার? কফি রপ্তানিতে দেশটি বিশ্বে শীর্ষে। তা-ও কী! দুইয়ে থাকা কলম্বিয়ার চেয়ে রপ্তানি দ্বিগুণেরও বেশি! ফুটবলার রপ্তানিতেও ব্রাজিল পিছিয়ে নেই! রাশিয়াভিত্তিক ফুটবল পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিআইএএসের নতুন গবেষণা অনুযায়ী, ফুটবল রপ্তানিতেও বিশ্বে শীর্ষে এখন নেইমার-কুতিনহোদের দেশ। আইএএনএস।ব্রাজিলের ১ হাজার ২০২ জন ফুটবলার খেলছেন বিশ্বজুড়ে, ব্রাজিলের বাইরে ১৩৭টি লিগে। তালিকায় দুইয়ে ফ্রান্স, ৭৮১ জন ফুটবলার রপ্তানি করেছে পগবা-গ্রিজমানদের দেশ। আর আর্জেন্টিনা? মেসির দেশ আছে তিনে, রপ্তানি করেছে ৭৫৩ জন ফুটবলার। | 317,096 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৩ জুলাই ২০১৯, ২০:২৬ | ০৪ জুলাই ২০১৯, ১১:৪০ | মাশরাফি বিন মুর্তজা,ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,বাংলাদেশ ক্রিকেট,বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল | null | আগে খুঁজতে হবে মাশরাফির বিকল্প | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1602401 | এবারের বিশ্বকাপটা একেবারেই ভালো যায়নি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। অনেকেই তাঁর শেষ দেখে ফেলেছেন। তবে এ বিষয়ে কোচ স্টিভ রোডস কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি মনে করেন, এটি পুরোপুরি মাশরাফির ব্যাপার।কিছুদিন আগেই মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পরেও খেলবেন তিনি। এটা মাশরাফির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা যে তিনি রাঙাতে পারেননি, এটা সত্যি। ৭ ম্যাচে মাঠে নেমে মাত্র ১ উইকেট—পরিসংখ্যানটা মাশরাফির মতো বোলারের সঙ্গে ঠিক যাচ্ছে না। এ নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। মাশরাফিকে একদিন না একদিন ঠিকই ‘বিদায়’ বলতে হবে—এই অমোঘ সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁর বিকল্প খুঁজে বের করার ব্যাপারটাও কিন্তু সামনে এসে যায়। সে প্রসঙ্গ উঠল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেও।মাশরাফি প্রসঙ্গে কোচ স্টিভ রোডসের দিকে ছুটে গেছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ অবশ্য এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি, ‘দুই সপ্তাহ ধরে এই আলোচনাটি চলছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বোর্ড ও মাশরাফি নিজেই আছে। আমি এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’এরপরই বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের বাস্তবিক চিত্রটি তুলে ধরেছেন রোডস। মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফির বিকল্প কোনো বোলার না পাওয়ার বিষয়টিও, ‘আমাদের ভালো একজন বোলার পেতে হবে। মাশরাফির জায়গা নেওয়ার মতো যার যথেষ্ট যোগ্যতা আছে। সবাই ভুলে যায় আমাদের হাতে অনেক লম্বা ও দ্রুতগতির বোলার নেই। আমরা টেস্ট ম্যাচ দিয়ে সেই বোলার খোঁজার চেষ্টা করছি। আমি নিশ্চিত, আমরা যে ধরনের বোলার চাইছি, তা খুঁজে বের করতে পারব।’ ২০১৯ বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচের ৭ ইনিংসে প্রতিপক্ষের ৭০ উইকেটের বাংলাদেশ তুলে নিতে পেরেছে ৫১টি। এর মধ্যে ১৬টি করে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান আর সাইফউদ্দিন। মেহেদী হাসান মিরাজ পেয়েছেন ৫টি। মোসাদ্দেক ৩টি। এমনকি খণ্ডকালীন বোলার সৌম্য সরকারও তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। কার্ডিফে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন মাশরাফি। ৭ ম্যাচে যে ২৯৪টি বল করে ওই একটি উইকেটই মাশরাফির প্রাপ্তি। রান দিয়েছেন ৩১৫।রোডস অবশ্য চান মাশরাফি যত দিন খেলেন, বিশ্বকাপ খারাপ সময় থেকে নিজেকে বের করেই খেলে যাবেন, ‘আমি নিশ্চিত, মাশরাফি তার পারফরমেন্স নিয়ে ভাববে এবং এখান থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করবে। খারাপ সময় থেকে বের হয়ে আসার জন্য সে সব রকমের চেষ্টায় করছে। প্রতিটি বলের জন্যই সে তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে।’ | 408,380 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:১৫ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০৫ | ভূমিধস,ফিলিপাইন | 0 | ফিলিপাইনে ভূমিধসে নিহত ২, বাড়িঘর বিধ্বস্ত | http://www.prothom-alo.com/international/article/1558279 | ফিলিপাইনে ভূমিধসে অন্তত দুজন মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলের তিনান গ্রামের সেবু দ্বীপে এ ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রবল বৃষ্টিপাতে গ্রামীণ কৃষি অঞ্চলটিতে ওই ভূমিধস হয়।ভূমিধসে মাটির নিচে চাপা পড়েছে ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি।আঞ্চলিক বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নেইল বালাবা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ভূমিধসে দুজন নিহত হয়েছে। দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ভূমিধসে অন্তত ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে।এর আগে গত শুক্রবার রাতে শক্তিশালী টাইফুন ম্যাংখুতের আঘাতে লন্ডভন্ড হয় ফিলিপাইনের উত্তর-পূর্বের প্রধান দ্বীপাঞ্চল। ঝড়টি ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ ল্যজনের বাগাওতে আঘাত হানে। ২০ ঘণ্টা ধরে চলা ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে। এক লাখের বেশি মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় আশ্রয় নিয়েছিল। যোগাযোগব্যবস্থা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। | 377,399 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৬ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৭ | কিশোরগঞ্জ,ভৈরব,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | তিন ছাত্র আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/463129 | কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় স্থানীয় সাংসদের সমাবেশে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তিন ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। আটক ছাত্ররা হলো হাকিম ভূইয়া, টিপু চৌধুরী ও শাকিল ভূইয়া। তারা সবাই স্থানীয় হক সাহেব উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ জানায়, ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সাবিয়ানগর বাজারে দেওঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ রেজওয়ান আহমেদ। সমাবেশ চলাকালে কে বা কারা মঞ্চ লক্ষ্য করে কয়েকটি ঢিল ছোড়ে। অষ্টগ্রাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ঘটনা সম্পর্কে জানতে ওই ছাত্রদের আটক করা হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব| | 118,871 |
ফেনী অফিস ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মার্চ ২০১৫, ০১:০৫ | ০৭ মার্চ ২০১৫, ০১:০৬ | ফেনী,লালমনিরহাট,খবর,অপরাধ | 0 | ফেনীতে সাংবাদিকের দুই হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/470161 | ফেনীতে সাংবাদিক রাশেদুল হাসানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় তাঁর দুই হাত ভেঙে গেছে। গতকাল শুক্রবার ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এদিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাটের কর্ণপুর গ্রামে গতকাল দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার লালমনিরহাটের নিজস্ব সংবাদদাতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে শাহিন আহত হয়েছেন। আহত জাহাঙ্গীর বলেন, দুর্বৃত্তরা গলা কেটে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছে।ফেনীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত রাশেদুল হাসান অনলাইন সংবাদমাধ্যম নতুন ফেনী ডটকমের সম্পাদক। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তা পরিচালক।রাশেদুল হাসান জানান, গতকাল সকালে তিনি ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রে যান। দুপুরের দিকে কয়েকজন লোক তাঁকে তথ্যসেবাকেন্দ্রের বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাঁর দুই হাত ভেঙে দেয়।স্থানীয় ব্যক্তিরা রাশেদুলকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।ফেনী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবু তাহের জানান, রাশেদুলের দুই হাত ভেঙে গেছে।স্থানীয় দৈনিক ফেনীর সময়-এর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জানান, আহত রাশেদুল হাসান একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁর পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, সংবাদসংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।ফেনী সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জিয়াউল হক বলেন, কোনো সাংবাদিকের আহত হওয়ার কথা তাঁরা জানেন না।ফেনী প্রেসক্লাবের সভাপতি নূরুল করিম মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন বেগ সাংবাদিক রাশেদুল হাসানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাটের কর্ণপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আরেক বিয়ে করেন। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। গতকাল এ নিয়ে সাজ্জাদের বাড়িতে সালিস বৈঠক বসে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় সালিসে সাজ্জাদকে মারধর করা হয়। সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম এ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দুবৃর্ত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলায় আঘাত করে। জাহাঙ্গীরের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাঁকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান মুকুল হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন। | 121,115 |
-1 | education | শিক্ষা | ১৭ আগস্ট ২০১৪, ০০:২৩ | ১৭ আগস্ট ২০১৪, ০০:২৫ | স্বপ্ন নিয়ে,জেনে রাখুন | 0 | ভর্তি পরীক্ষা আসন্ন | http://www.prothom-alo.com/education/article/292666 | ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা শুরু হয়েছে। এর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো। অনিবার্য কারণে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ বদল হতে পারে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়আবেদন: ১৪ থেকে ৩১ আগস্ট।ভর্তি পরীক্ষা: (প্রতিটি সকাল ১০ টা) ‘গ’ ইউনিট ৫ সেপ্টেম্বর। ‘ক’ ইউনিট ১২ সেপ্টেম্বর, ‘খ’ ইউনিট ১৯ সেপ্টেম্বর, ‘ঘ’ ইউনিট ২৬ সেপ্টেম্বর ও ‘চ’ ইউনিট ১৩ সেপ্টেম্বর। বিস্তারিত তথ্য: www.du.ac.bdজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়আবেদন: ১৮–২৭ আগস্ট।ভর্তি পরীক্ষা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ। সময়: বিকেল। বিস্তারিত www.jnu.ac.bdখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়আবেদন: ২০ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর।ভর্তি পরীক্ষা: ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর। বিস্তারিত www.ku.ac.bdজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ভর্তি পরীক্ষা: ১৩ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর।বিস্তারিত তথ্য: www.juniv.eduচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ভর্তি পরীক্ষা: ২৭ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর। বিস্তারিত তথ্য: www.cu.ac.bdশেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), ঢাকাভর্তি পরীক্ষা: ১৪ নভেম্বর।বিস্তারিত তথ্য: www.sau.edu.bdশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), সিলেটভর্তি পরীক্ষা: ১৫ নভেম্বর ।বিস্তারিত: www.sust.eduগ্রন্থনা: স্বপ্ন নিয়ে ডেস্ক | 85,790 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৫ জুলাই ২০১৩, ১২:০৪ | ২৫ জুলাই ২০১৩, ১২:০৯ | মাল্টিমিডিয়া | null | গুগল আনছে টিভি ডংগল ক্রোমকাস্ট | http://www.prothom-alo.com/technology/article/29610 | সাশ্রয়ী দামের টিভি ডংগলের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। ক্রোমকাস্ট নামের এ ডংগলটি টেলিভিশনের এইচডিএমআই পোর্টে যুক্ত করে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটার থেকে মিডিয়া সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এ টিভি ডংগলটির দাম মাত্র ৩৫ মার্কিন ডলার। কবে নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি গুগল কর্তৃপক্ষ।বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপলের মতো টেলিভিশন প্রযুক্তিতে যুক্ত হতে কাজ করছিল গুগল কর্তৃপক্ষ। এবারে ক্রোমকাস্ট নামের সাশ্রয়ী দামের ডংগলের সাহায্যে টেলিভিশন প্রযুক্তিতে গুগল আরও এগিয়ে যাবে। এর আগে গুগল টিভি, নেক্সাস কিউ এনে টেলিভিশন প্রযুক্তির বাজারে অবস্থান তৈরিতে গুগল চেষ্টা করছিল। | 4,942 |
সাতকানিয়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৬ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৭ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সাতকানিয়ায় ১২ সড়কে খানাখন্দ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/309664 | সাম্প্রতিক সময়ের টানাবৃষ্টি ও নিয়মিত সংস্কার না করায় সাতকানিয়া উপজেলার ১২টি সড়ক খনাখন্দে ভরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্তে জমে থাকছে বৃষ্টির পানি। এতে চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। সরেজমিন দেখা গেছে, মৌলভীর দোকান-মরফলা বাজার ও গোয়াজরপাড়া-ছমদিয়াপুকুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচঢালাই উঠে গেছে। সড়কের ওই অংশে বৃষ্টির পানি ও কাদা মিশে একাকার হয়ে আছে। কিছু স্থানে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ঠেলে গাড়ি ওই অংশ পার করছেন। এই দুটি সড়কের মতো একই অবস্থা অন্য ১০টি সড়কেরও।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় ১২টি সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ওই সড়কগুলো হলো গোয়াজরপাড়া-ছমদিয়াপুকুর, মৌলভীর দোকান-মরফলা বাজার, নলুয়া-সরওয়ার বাজার, ফুলতলা-আমিলাইশ, মির্জাখীল-সেনের হাট, প্রাণহরি স্কুল-চান্দেরপাড়া, ওবাইদিয়া-বাইন্যাপাড়া, বিওসির মোড়-মাইঙ্গাপাড়া, সামচৌধুরীপাড়া-গারাঙ্গিয়া, হাসমতের দোকান-আজিমপুর, করইয়ানগর-আশেকেরপাড়া ও নাপিতেরচর-কাজীরখীল সড়ক। সাতকানিয়া মাহমুদুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এ সড়কগুলো দিয়ে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে কষ্ট করে চলাচল করছে। জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় সবকিছু করবেন বলে আশ্বাস দেন কিন্তু পরে বেমালুম ভুলে যান।মৌলভীর দোকান-মরফলা বাজার এলাকার রিকশাচালক মো. ছাদেক বলেন, সড়কে খানাখন্দ ও গর্তের কারণে রিকশা চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক স্থানে গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে সড়কের ভাঙা অংশ পার হয়ে আবার গাড়িতে তুলতে হয়। এতে চালক ও যাত্রী উভয়ের কষ্ট হচ্ছে। সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নূর আহমদ বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় ও প্রশাসনকে সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে অনেকবার অবহিত করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. পারভেজ সারোয়ার হোসেন বলেন, সাতকানিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়ক জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। এ জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে সড়কগুলো সংস্কার করা হবে। | 90,380 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মার্চ ২০১৫, ০২:৫৭ | ১০ মার্চ ২০১৫, ০২:৫৮ | খবর,সংসদ | 0 | খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে উত্থাপন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/472999 | কৃষি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির জন্য খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল ২০১৫ গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি উত্থাপন করেন।পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।প্রস্তাবিত আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কৃষি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার প্রসার এবং কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে উন্নত শিক্ষাদান, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও হস্তান্তর এবং দেশীয় কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর স্বার্থে খুলনা অঞ্চলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। | 121,789 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ জুলাই ২০১৫, ০২:০০ | ২৪ জুলাই ২০১৫, ০২:০১ | সিলেট,মহানগর | 0 | শপথ গ্রহণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/583477 | সিলেট বিভাগের ৩৫ উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত ১১০ জন নারী সদস্য শপথ নিয়েছেন। গতকাল বিকেল চারটায় নগরের আলমপুর এলাকার সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে শপথবাক্য পাঠ করান বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মিজানুর রহমান ও উপপরিচালক পরিমল সিংহ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নির্বাচিত নারী সদস্যদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী। নারীরাই এ দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাই উপজেলা পরিষদের নারী সদস্যদেরও পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই।’ নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট| | 154,509 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:২৪ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:২৬ | বিনোদন | 0 | আজ দেখতে পারেন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/313126 | ‘লাইফ অ্যান্ড বিউটি’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপক আজরা। এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে বিকেল সোয়া পাঁচটায়ফ্যামিলি প্যাক ধারাবাহিকে অগ্নিলা। রাত সোয়া আটটায় প্রচারিত হবে এনটিভিতেবিজলি নাটকে তিশা। আরটিভিতে আজ শুরু হচ্ছে ধারাবাহিকটি। প্রচারিত হবে রাত আটটা ২০ মিনিটেচলচ্চিত্রদেশ টিভিসকাল ৮-০০ চালবাজ (ওমর সানী, শাহনাজ, ডলি জহুর)।আরটিভিদুপুর ১২-৩৫ আনন্দ অশ্রু (সালমান শাহ, শাবনূর)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-৫০ প্রেমযুদ্ধ।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ স্বপ্নের পৃথিবী (সালমান শাহ, শাবনূর, ববিতা, রাজীব)।জলসা মুভিজবেলা ১১-০০ গুপি গাইন বাঘা বাইন (তপেন চ্যাটার্জি, রবি ঘোষ)। ১-৩০ এমএলএ ফাটাকেষ্ট (মিঠুন, কোয়েল মল্লিক, দেবশ্রী রায়)। ৬-৩০ পাগলু টু (দেব, কোয়েল মল্লিক)। ৯-৩০ রংবাজ (দেব, কোয়েল মল্লিক)।জি সিনেমাবেলা ১১-৩৯ বেটি নাম্বার ওয়ান (গোবিন্দ, রম্ভা)। ২-৩৩ মিস্টার ইন্ডিয়া (অনিল কাপুর, শ্রীদেবী)। ৬-০৯ বাজিগর (শাহরুখ খান, কাজল, শিল্পা শেঠি)। ৯-৩০ আজুবা (অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর, ডিম্পল কাপাডিয়া, সোনম)।সেট ম্যাক্সবেলা ১১-০০ অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড। ১-৩০ চাক দে! ইন্ডিয়া (শাহরুখ খান)। ৬-০০ চিরুথা (রাম চরন, নেহা শর্মা)। ৯-৩০ ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি (রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন)।স্টার মুভিজ (ভারত)বেলা ১১-৩০ দ্য টোয়াইলাইট সাগা: ব্রেকিং ডন (রবার্ট প্যাটিনসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট)। ২-০০ দ্য মামি (ব্রেনড্যান ফ্রেজার, র্যা চেল ভাইস)। ৪-৩০ স্টুয়ার্ট লিটল টু (জিনা ডেভিস, হিউ লরি)। ৬-০০ রেসিডেন্ট এভিল (মিলা জভোভিচ, মিশেল রডরিজ)। ৮-০০ থার্টিন গোস্টস। ৯-৩০ দ্য উলভেরাইন ।এইচবিওসকাল ১০-০০ রাইডারস অব দ্য লস্ট আর্ক (হ্যারিসন ফোর্ড)। ১২-৩০ ম্যান অব স্টিল (কেভিন কস্টনার, এমি অ্যাডামস, মাইকেল শ্যানন)। ৩-১৭ ন্যাশনাল ট্রেজার (নিকোলাস কেজ, ডায়ানে ক্রুগার)। ৫-৪৯ স্পাই কিডস ফোর (জেসিকা অ্যালবা)। ৭-৩৫ হামিংবার্ড (জেসন স্ট্যাথাম)। ৯-৩০ নাও ইউ সি মি। | 91,507 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩৪ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩৬ | কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,শিশু | 0 | কুমিল্লায় দুই শিশু খুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/828511 | ২৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় খুন হয় মেহেদী হাসান জয় (৮) ও মেজবাউল হক মনি (৬) নামের দুই ভাই। ঘরের মধ্যে শ্বাসরোধ এবং গলায় দড়ি পেঁচিয়ে এদের হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তাদের সৎভাই মো. আল সফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় শিশু দুটির মা রেখা বেগম মামলা করেন। পরে রাজধানী থেকে সফিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় | 219,947 |
লালমনিরহাট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ জুলাই ২০১৪, ০১:৪১ | ২০ জুলাই ২০১৪, ০১:৪৩ | লালমনিরহাট,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | আটক ফেনসিডিল ছিনিয়ে নিল মাদক ব্যবসায়ীরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/272365 | লালমনিরহাট সদর উপজেলায় জনগণের হাতে আটক এক বস্তা ফেনসিডিল ছিনিয়ে নিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া তারা মাদক আটকে জড়িত এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।গত শুক্রবার উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি গ্রামের বাঘডোরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।হামলা ও ভাঙচুরের শিকার বাঘডোরা বাজারের মুদিদোকানি আবদুস সোবাহান বাদী হয়ে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, বাঘডোরা বাজার এলাকায় সচেতন জনতা ফেনসিডিল আটক করেছে—এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের লোকজন সেগুলো কেড়ে নিয়ে গেছে।হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আবদুস সোবাহান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কালমাটি গ্রামের মো. দৌলত (২৮) এক বস্তা ভারতীয় ফেনসিডিল নিয়ে তিস্তা নদীর দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই এলাকার আহম্মদ আলী ও এলাকার কয়েকজন তাঁকে থামালে উভয়পক্ষে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে কালমাটি গ্রামের মশিয়ার রহমানসহ (৩৫) কয়েকজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আটক ফেনসিডিলের বস্তাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর আসামিরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘডোরা বাজারের আবদুস সোবাহানের মুদিদোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। মুদিদোকান ভাঙচুরের সময় আসামি মশিউর রহমানের মাথায় টিন লেগে তিনি জখম হন।মামলার বাদী আবদুস সোবাহান বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই আহম্মদ আলী এলাকাবাসীর সহায়তায় এক বস্তা ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী দৌলতকে আটক করে। পরে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।’ | 79,250 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২৯ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২৯ | নারায়ণগঞ্জ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | মাদক সেবনের দায়ে দুজনের সাজা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1026231 | নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় মাদক সেবনের অপরাধে দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বন্দরের ইউএনও মৌসুমী হাবীব এই আদালত পরিচালনা করেন। সোমবার রাতে রমজান (৩৪) ও মানিককে (৩২) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রমজানকে মাদক সেবনের দায়ে ১৫ দিন এবং মানিককে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গতকাল পুলিশ তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছে। | 267,898 |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৪৫ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৪৬ | আদমদীঘি,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | পরীক্ষার ফল নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না ফারহানার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/111102 | নওগাঁয় স্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না ফারহানা আকতারের। গতকাল রোববার স্কুল থেকে ফলাফল নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টরের ধাক্কায় নিহত হয়েছে সে।ফারাহানা রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কুদাপাড়া গ্রামের আবেদ আলীর মেয়ে। সে নওগাঁ শহরের চকপ্রসাদ মহল্লায় নানা সোলাইমান আলীর বাড়ি থেকে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত।পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে ফারহানা তার মামা আবদুস সালামের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে স্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। শহরের দপ্তরীপাড়ায় পৌঁছালে মাটিবোঝাই একটি ট্রাক্টর মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ফারহানার মৃত্যু হয়। মামা আবদুস সালাম আহত হন। | 39,745 |
প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:২৬ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১২:১০ | গোয়ালন্দ,রাজবাড়ী,দুর্ঘটনা,ঢাকা বিভাগ,কালবৈশাখী,অপমৃত্যু | 0 | গোয়ালন্দে নিহত দুই সহোদরের পরিবারকে অনুদান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1589113 | রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রামে সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে নিহত দুই সহোদরের পরিবারের মধ্যে আজ মঙ্গলবার নগদ অর্থ ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ দুপুরে ওই দুই পরিবারের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ৪০০ কেজি জিআর চাল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবায়েত হায়াত।গত ৩১ মার্চ গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়ালজানি গ্রামে পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে নামে দুই সহোদর। এ সময় কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে দক্ষিণ কাওয়ালজানি গ্রামের হাতেম আলী সরদারের দুই ছেলে নিখোঁজ হন। তাঁরা দুজন হলেন বাবলু সরদার ও জীবন সরদার। দুর্ঘটনার দুই দিন পর নদী থেকে স্থানীয় জেলে ও এলাকাবাসী তাঁদের লাশ উদ্ধার করে। ওই দুর্ঘটনায় নিহত বাবলুর পক্ষে তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম এবং জীবনের পক্ষে তাঁর বাবা হাতেম আলীর হাতে আজ এসব অর্থ ও চাল তুলে দেওয়া হয়।ইউএনও কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত এসব অনুদান তুলে দেওয়ার সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন, দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতর আলী সরদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু সাঈদ মন্ডল, ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ। | 398,201 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:০৪ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:০৫ | এশিয়া | null | বিমানবন্দরে তিন মাস কাটাল পরিবারটি | http://www.prothom-alo.com/international/article/1415651 | থাইল্যান্ডের ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে তিন মাস কাটানোর পর বিমানবন্দরটি ত্যাগ করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ের একটি পরিবার। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে গতকাল সোমবার পরিবারটি বিমানবন্দর ত্যাগ করে।ওই পরিবারটিতে ১১ বছরের কম বয়সী চারটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক চারজন সদস্য রয়েছেন। গত বছরের মে মাসে পরিবারটি প্রথম ব্যাংকক আসে। গত অক্টোবরে পরিবারটি সেখান থেকে যখন স্পেনে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন দেখতে পায়, তাদের যথাযথ ভিসা নেই। পরিবারটি পুনরায় থাইল্যান্ডে ঢুকতে পারেনি, কারণ তাদের পর্যটন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে তাদের জরিমানাও গুনতে হয়। এদিকে পরিবারটি জানায়, তারা তাদের দেশ জিম্বাবুয়েতেও ফিরতে পারবে না। কারণ সেখানে গেলে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হবে।গত ডিসেম্বরে বিমানবন্দরের এক কর্মী পরিবারটির একটি শিশুর সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে বলেন, অমীমাংসিত পরিস্থিতির কারণে পরিবারটি বিমানবন্দরে বাস করছে। ওই পোস্টের পর বিষয়টি সবার নজরে আসে।পরিবারটি জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করে জানায়, গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়েতে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে ফিরে গেলে তাদের নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই বিক্ষোভে জিম্বাবুয়ের দীর্ঘ দিনের নেতা রবার্ট মুগাবে ক্ষমতাচ্যুত হন।পরিবারটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ জানায়, তারা বিষয়টি বিবেচনা করছে। এই সময়ের মধ্যে পরিবারটি বিমানবন্দরেই বাস করে আসছিল। বিমানবন্দরের কর্মীরা তাদের দেখাশোনা করতেন।থাই অভিবাসন ব্যুরোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত গতকাল সোমবার পরিবারটি বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। ফিলিপাইনের উদ্দেশে পরিবারটি বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শরণার্থীশিবির রয়েছে। তবে ওই শরণার্থীশিবিরই পরিবারটির চূড়ান্ত গন্তব্য কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। | 352,407 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৫৬ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:২১ | হলিউড | 0 | যৌন হয়রানি ঠেকাতে নায়িকাদের খোলা চিঠি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1434036 | • ২০০ নারী তারকা একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। • যুক্তরাজ্যের ‘দ্য অবজারভার’ পত্রিকায় সেই চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। • যৌন হয়রানিবিরোধী প্রচারণায় এই অর্থ কাজে লাগানো হবে।আজ রোববার ৭১তম বাফটা অ্যাওয়ার্ডের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। এ বছর পশ্চিমের প্রতিটি পুরস্কার বিতরণী আসর অন্যগুলো থেকে আলাদা। হলিউডের যৌন হয়রানি আর এর প্রতিবাদের প্রভাব গিয়ে পড়েছে সব জায়গায়। সম্প্রতি সমাজের সব ক্ষেত্রে নারীর ওপর যৌন হয়রানি ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের ২০০ নারী তারকা একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। যুক্তরাজ্যের ‘দ্য অবজারভার’ পত্রিকায় সেই চিঠি প্রকাশিত হয়েছে।সাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ টিভি, চলচ্চিত্র ও মঞ্চের অভিনেত্রী। নায়িকা এমা টমসন, কিরা নাইটলি ও এমা ওয়াটসন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ‘হ্যারি পটার’ ছবির তারকা এমা ওয়াটসন যৌন হয়রানিতে ভুক্তভোগী নারীদের সাহায্যের জন্য এর আগে ১০ লাখ পাউন্ড দান করেন। যৌন হয়রানিবিরোধী প্রচারণায় এই অর্থ কাজে লাগানো হবে। কিরা নাইটলি ও অভিনেতা টম হিডলস্টোন এখন পর্যন্ত এই তহবিলে ১০ হাজার পাউন্ড করে জমা দিয়েছেন বলে জানা যায়।এদিকে নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি ও বেতনবৈষম্য রোধে গড়ে তোলা ‘টাইমস আপ’ প্রচারণার সঙ্গে ব্রিটিশ তারকারাও একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তারই সূত্র ধরে আজ রোববার লন্ডনে আয়োজিত বাফটা পুরস্কার আসরে সব তারকা কালো পোশাক পরার ঘোষণা দেন।সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে একাত্মতা উদ্যাপন করার এখনই সময়। বাফটা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানিবিরোধী এই আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক করার উপযুক্ত এক সময়। সেখানে আরও বলা হয়, এই আন্দোলন জাতি, শ্রেণি, যোগ্যতার ঊর্ধ্বে। এখানে শুধু কাজের পরিবেশ নিয়েই কথা হবে। কিছুদিন আগেও যৌন হয়রানির কথা নারীদের কীভাবে এড়িয়ে যেতে হতো, সে কথাও এখানে উল্লেখ করা হয়।এ বছর শুরুতে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার আসরেও তারকারা সবাই কালো পোশাক পরে লালগালিচার হেঁটেছেন। গোল্ডেন গ্লোবের মতো বাফটাতেও কয়েকজন তারকা লালগালিচায় সমাজসেবকদের হাতে হাত ধরে হাঁটবেন বলে জানা গেছে। বিবিসি | 355,365 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:১১ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:২৬ | আইন ও বিচার | null | ডিএসসিসির সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/771601 | জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সার্ভেয়ার মো. মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।জানা গেছে, সার্ভেয়ার মোতালেবের প্রায় ১২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা দেবব্রত মণ্ডল শিগগিরই মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।দুদক সূত্র জানায়, সার্ভেয়ার মো. মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদকে এলে ২০১৩ সালের শেষদিকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। অনুসন্ধানের সময় তাঁর অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় তাঁকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেয় দুদক।সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ডিএসসিসির সার্ভেয়ার মোতালেব দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। তাঁর জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই শেষে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৬২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ১২ লাখ ১ হাজার ৫২৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুদক আইন ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলা করার অনুমোদন দেয় কমিশন।এর আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ট্রেড সেন্টারে দোকান বরাদ্দ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে করা দুদকের আরেক মামলারও আসামি মোতালেব। ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রেও মোতালেব আসামি। | 202,114 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১১ মে ২০১৭, ০০:০৫ | ১১ মে ২০১৭, ০০:২৯ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | ১৯৯ রানে জিতল বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1176246 | বাংলাদেশের ৩৯৪ রান দেখেই হয়তো ঘাবড়ে গিয়েছে আয়ারল্যান্ড উলভস! বেলফাস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে বিশাল লক্ষ্যটা তাড়া করা কঠিন জেনে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টাই হয়তো করেছে তারা। তবুও প্রস্তুতি ম্যাচে বিশাল ব্যবধানের হারটা এড়াতে পারেনি তারা, বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ১৯৯ রানে।শ্যানন-টেক্টরের ৫১ রানের ওপেনিং জুটি যা একটু উজ্জ্বল দিক উলভসের ইনিংসে। এর পর শুধুই উইকেট পড়ার মিছিল। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধাক্কা খেতে খেতে চলতে থাকা উলভসের ইনিংস থেমেছে ৪১.২ ওভারে ১৯৫ রানে অলআউট হয়ে। মোস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন ও সাকিব আল হাসান—প্রত্যেকে ভাগ করে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশ গড়েছে ৩৯৪ রানের বিশাল স্কোর! তামিম-সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি ৪৪ রানের ভালো শুরু এনে দেয় বাংলাদেশকে। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ৪৯, রানরেট তখন ৪.৯। রানের গতি বাড়তে শুরু করে তামিম-সাব্বিরের তৃতীয় উইকেটে জুটিতে। ৮২ বলে এই জুটি যোগ করে ১০৩ রান। ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪২ রান করা বাংলাদেশ শেষ ৯০ বলে যোগ করেছে ১৫২ রান। সৌম্য বাদে বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানেরই স্ট্রাইকরেট ১০০-এর ওপরে!সাসেক্সে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি তামিম। পিঠের পুরোনো চোটের কারণেই সতর্কতা হিসেবে বিশ্রামে ছিলেন এ দুই ম্যাচে। আজ উলভসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে ২২ গজে ফিরেছেন তামিম। শুক্রবার থেকে শুরু ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে ব্যাটে ভালোই শান দিয়েছেন, ১১ চারে ফিফটি ছুঁয়েছেন ৪৯ বলে। ম্যাকব্রায়ানের বল ডিপ কাভারে ইয়াংয়ের দারুণ ক্যাচ হওয়ার আগে বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ৭৪ বলে ৮৬।তবে তামিমের চেয়ে প্রস্তুতিটা বেশি ভালো হয়েছে সাব্বিরের। ৭ চার আর এক ছয়ে ফিফটি করেছেন ৪৯ বলে। ফিফটির পর তিনি আরও আক্রমণাত্মক। ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে খেলেছেন আর ৩৩ বল। ১৬ চার আর ১ ছক্কায় তিন অঙ্ক স্পর্শ করে সাব্বির জানিয়ে দিয়েছেন, আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি স্মরণীয় করে রাখার অভিযানেই নেমেছেন তিনি। অবসর নিয়েছেন সেঞ্চুরি করার পরপরই।সাব্বিরের অবসরের পর আইরিশদের ওপর চড়াও হয়েছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। দুইজনের ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ হয়েছে ৪৮ বলে ৯১ রান। মুশফিক করেছেন ২৪ বলে ৪১ আর মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ৪৯ রান। দুজনই গেটক্যাটের শিকার।ব্যাটিংটা শুধু ভালো নয়, দুর্দান্তই হয়েছে বাংলাদেশের। বোলাররা ঝালিয়ে নিয়েছেন দারুণভাবে। কাল থেকে শুরু ত্রিদেশীয় সিরিজটা বাংলাদেশ শুরু করতে যাচ্ছে টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়ে।সংক্ষিপ্ত স্কোর:বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৯৪/৭ (সাব্বির ১০০, তামিম ৮৬, মাহমুদউল্লাহ ৪৯, সাকিব ৪৪, মুশফিক ৪১, মোসাদ্দেক ৩১, সৌম্য ১৭, মাশরাফি ৮*, গেটক্যাট ৩/৬০, ম্যাকব্রায়েন ২/৬৯)।আয়ারল্যান্ড উলভস: ৪১.২ ওভারে ১৯৫ (টেক্টর ৬০, শ্যানন ৩১; মোস্তাফিজ ২/১৭, মাশরাফি ২/৩১, সাকিব ২/৩২, রুবেল ২/৩৫)।ফল: বাংলাদেশ ১৯৯ রানে জয়ী। | 316,888 |
আব্দুল কুদ্দুস ও গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফ থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৬ | ২৬ নভেম্বর ২০১৬, ০২:০১ | টেকনাফ,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | ১০ ফুটের ঘরে গাদাগাদি ৩৪ জনের বন্দিজীবন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1028273 | আট ফুট বাই দশ ফুট বেড়ার ঘর। পলিথিনের ছাউনি। এটুকু ঘরে গাদাগাদি করে থাকছে ৩৪ জন রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে ৭ জন নারী, ১৭টি শিশু। গ্রেপ্তার-আতঙ্কে বন্দিজীবন কাটছে সবার।প্রচণ্ড শীতে গায়ে দেওয়ার মতো গরম কাপড়চোপড় নেই। নেই খাবারের ব্যবস্থা। অসুস্থ তিন শিশুর কান্না যেন থামছে না। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং অস্থায়ী (অনিবন্ধিত) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘এ’ ব্লকের ১ নম্বর শেডে গতকাল শুক্রবার এ দৃশ্য চোখে পড়ে।রাখাইন রাজ্য থেকে নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় অনুপ্রবেশকারী প্রায় আট হাজার রোহিঙ্গা এখন ঝুপড়িঘরেই বন্দিজীবন কাটাচ্ছে।৩৪ রোহিঙ্গা যে কক্ষে থাকছে, তার মালিক কেরামত উল্লাহও রোহিঙ্গা। তিনি এখানে বসত করে থাকছেন তিন বছর ধরে।কেরামত উল্লাহ (৫২) বলেন, তিন বছর আগে আরাকান রাজ্যের (বর্তমানে রাখাইন রাজ্য) মংডু থেকে তিনি উখিয়ায় অনুপ্রবেশ করে এই ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। সঙ্গে স্ত্রী ও পাঁচ ছেলেমেয়ে। দুই কক্ষের ওই শেডঘরের একটি কক্ষ তিন দিন ধরে সদ্য অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের থাকতে দিয়েছেন।দুই মেয়ে ও ছয় ছেলে নিয়ে ওই কক্ষে থাকছেন রাখাইন রাজ্যের খোয়াখালী গ্রামের নছিমা খাতুন (৪৮)। কক্ষের এক কোণে মাটিতে বসে তিনি শিশুসন্তানদের কলা খাওয়াচ্ছিলেন।ছোট্ট কক্ষে গাদাগাদি করে থাকার কারণ জানতে চাইলে নছিমা খাতুন বলেন, এ ছাড়া তাঁদের কোনো উপায় নেই। একই সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে এখানে আগে থেকে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা তাঁদের থাকতে দিয়েছেন। এখন কেউ যদি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে না দেয়, সবাইকে মরতে হবে।নছিমা ছেলেমেয়েদের নিয়ে নৌকায় করে টেকনাফের উনচিপ্রাং এলাকায় আসেন গত মঙ্গলবার ভোরে। এরপর দালালেরা অটোরিকশায় তুলে তাঁদের এই ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়। হাতে নগদ অর্থ যা ছিল, সবই দালালেরা নিয়ে গেছে। এখন প্রচণ্ড শীতে কাতর সন্তানদের গরম জামাও কিনে দিতে পারছেন না।স্বামী কোথায় জানতে চাইলে নছিমা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। বলেন, ‘মগরা’ তাঁর স্বামী আবদুল আমিনকে গুলি করে হত্যা করেছে।একই কক্ষে দুই ছেলেমেয়ে হুমাইরা (৩) ও রমিজকে (১) নিয়ে আছেন রোহিঙ্গা গৃহবধূ আছিয়া বেগম (১৮)। জ্বরে কাতর রমিজের কান্নায় বাতাস ভারী। মা কিছুতেই কান্না থামাতে পারছেন না। আছিয়ার বাড়ি রাখাইন রাজ্যের গদুছড়ায়।আছিয়া বেগম বলেন, ১৮ নভেম্বর রাতে ‘মগসেনারা’ তাঁদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি বেরোতে পারলেও স্বামী জিয়াউর রহমানের রক্ষা হয়নি। আগুনে পুড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এক পুলিশ তাঁকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এরপর তিনি সন্তানদের নিয়ে উখিয়ায় পালিয়ে আসেন।দেখা গেছে, এ ক্যাম্পের প্রায় প্রতিটি ঘরে একটি বা দুটি করে সদ্য অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা পরিবার থাকছে। যতটুকু খাবার জুটছে, সবাই ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। কিন্তু এভাবে কত দিন? এই ক্যাম্পে বসবাসকারী কোনো রোহিঙ্গাই সরকারি বা বেসরকারিভাবে সাহায্য-সহযোগিতা পান না। ক্যাম্পের বাইরে দিনমজুরি, উপকূলে চিংড়িপোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সভাপতি আবদুল হাফেজ বলেন, আগে এই ক্যাম্পে রোহিঙ্গা ছিল প্রায় ৫৭ হাজার। গত কয়েক দিনে এখানে আশ্রয় নিয়েছে আরও সাত হাজারের মতো রোহিঙ্গা। তারা অন্যান্য রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকছে। নতুন করে ঘরবাড়ি তৈরির সামর্থ্যও তাদের নেই।একই দৃশ্য টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ওই ক্যাম্পে গিয়ে দেখা গেছে, বন বিভাগের একটি বাগানের শতাধিক গাছ কেটে অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হচ্ছে।এই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা দুদু মিয়া বলেন, নতুন করে আসা কয়েক হাজার রোহিঙ্গার থাকতে কষ্ট হচ্ছে। তাই এই ঘর তৈরি হচ্ছে।নাফ নদীতে ভাসছে রোহিঙ্গাগত বুধবার থেকে সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে রোহিঙ্গারা টেকনাফ ও উখিয়ায় আসতে পারছে না। পুরো সীমান্তজুড়ে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের পাহারা। নাফ নদীর মিয়ানমার সীমান্তে নৌকায় ভাসছে অনেক লোক।বিজিবি ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে (শুক্রবার) দুটি নৌকা নিয়ে টেকনাফে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির সদস্যরা ৩৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেন। পরে তাদের পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়। একই সময় উখিয়ার গুমধুম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি তিনজন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠায়।কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, নাফ নদীর ৬৩ কিলোমিটার সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছে বিজিবি। অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গারা ধরা পড়লে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, দুদিন ধরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ থাকলেও শত শত রোহিঙ্গা নাফ নদীতে ভাসছে। তারা মিয়ানমারে যেমন ফিরে যেতে পারছে না, তেমনি বাংলাদেশেও ঢুকতে পারছে না।বিজিবির মহাপরিচালকের সীমান্ত পরিদর্শনগতকাল সকালে স্পিডবোটে নাফ নদী ঘুরে দেখেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের বাংলোতে বসে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরেন।বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, কিছু কিছু পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। তবে এ পর্যন্ত কতজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে, তার হিসাব বিজিবির হাতে নেই।মহাপরিচালক বলেন, যেসব পয়েন্টে বিজিবি টহল দিতে পারছে না, সেখানে এলাকার কিছু দালাল তৎপর থাকে। তাদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। এখন যেসব পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে, সেখানেও বিজিবির টহল থাকবে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় জনগণেরও সহযোগিতা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার ফরিদ হাসান, বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল এম এম আনিসুর রহমান, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিউল আলম প্রমুখ। | 268,736 |
-1 | education | শিক্ষা | ২০ মার্চ ২০১৭, ০০:৫৫ | ২০ মার্চ ২০১৭, ০০:৫৫ | পড়াশোনা,জেনে রাখুন | 0 | তুমি কি জানো? | http://www.prothom-alo.com/education/article/1106029 | *শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ*শনির উপগ্রহের সংখ্যা ২২*শনি পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ৯ গুণ বড়*শনিকে ৩টি উজ্জ্বল বলয় বেষ্টন করে আছে*সূর্য থেকে শনির দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলোমিটার | 304,698 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১২ মে ২০১৫, ০২:৪০ | ১২ মে ২০১৫, ০২:৪১ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | আফগানিস্তানের আগে সিঙ্গাপুর | http://www.prothom-alo.com/sports/article/525619 | বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ১৪ মে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল উত্তর কোরিয়ার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে উত্তর কোরিয়া আসতে রাজি না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুর ও মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। মিয়ানমার ঢাকায় এসে খেলতে অনাগ্রহ দেখানোয় সিঙ্গাপুরের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। অবশেষে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে। কাল বাফুফেকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিঙ্গাপুর। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৩০ মে বিকেল ৪টায় হবে এই প্রীতি ম্যাচ, ২৮ মে ঢাকায় আসবে সিঙ্গাপুর। এই ম্যাচের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে সাধারণ গ্যালারি ৫০ টাকা এবং ভিআইপি ১০০ টাকা করে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইন।সিঙ্গাপুরের পরই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসবে আফগানিস্তান। আগামী ২ জুন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই বর্তমান সাফ চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলবেন মামুনুলরা। বিশ্বকাপ পর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১১ জুন, কিরগিজস্তানের সঙ্গে। ১৬ জুন পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তান। দুটি ম্যাচই হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। | 138,244 |
শফিক আল মামুন, ঢাকা | entertainment | বিনোদন | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:২০ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:২৪ | আলাপন | 0 | বিশ্রামে থাকতে হবে: তানজিন তিশা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1563080 | ১৬ অক্টোবর ইউটিউবে উঠেছে মাবরুর রশীদ পরিচালিত ওয়েব ড্রামা ‘ছেলেটি বেয়াদব’। প্রকাশ হওয়ার পরপরই এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। সামনেই আরও একটি ওয়েব ড্রামায় দেখা যাবে তিশাকে। ওয়েব প্ল্যাটফর্মের প্রতি তিশার এই আগ্রহ দেখেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তানজিন তিশা জানান তাঁর আরও কিছু কাজের খবর ও একটি দুর্ঘটনার কথা।শুনলাম, আপনি আহত হয়েছেন? কীভাবে?হ্যাঁ। আজ (গতকাল রোববার) দুপুরে বাসায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সামান্য হাত কেটে গেছে। কয়েকটা সেলাই দিতে হয়েছে। চিকিৎসক বলে দিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন বিশ্রামে থাকতে হবে। ‘ছেলেটি বেয়াদব’ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?খুব ভালো। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ইউটিউবে এটি ৩২ লাখবার দেখা হয়েছে। গল্পটি একেবারেই জীবনঘনিষ্ঠ। এ কারণেই প্রচুর দর্শক এটি দেখছেন।‘বেড সিন’, ‘ছেলেটি বেয়াদব’—এ ধরনের অন্য রকমের ওয়েব সিরিজ, ফিকশন, নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আপনাকে দেখা যায়। আপনি কি নামগুলো জেনেই তাতে অভিনয় করেন? নাকি এটা কাকতাল?প্রথম দিকে মনে হতো এ ধরনের নাম দর্শক কীভাবে নেবেন। দর্শক খারাপ বলেন কি না, এ নিয়ে চিন্তা হতো। পরে দেখলাম, না, নামের কারণেই দর্শক বেশি দেখছেন কাজগুলো।আপনাকে ইদানীং এ ধরনের ফিকশন, ওয়েব সিরিজ কিংবা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে বেশি দেখা যাচ্ছে। কেন?ঠিক তা নয়। আমার আগ্রহ গল্পে। গল্প ভালো হলে আমার সবটুকু দিয়ে কাজ করি। সেটা নাটক, ওয়েব সিরিজ, শর্টফিল্ম—যা–ই হোক না কেন।আপনি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করতে চান না কেন?প্রায় এক বছর পর জাকারিয়া সৌখিনের আমার গল্পে তুমি নামে একটি ধারাবাহিকে কাজ করছি। এখনো প্রচার শুরু হয়নি। তবে ধারাবাহিকটি থেকে সরে আসব। কারণ মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় ধারাবাহিকের জন্য বরাদ্দ রাখতে হয়। এ কারণে অনেক সময় ভালো গল্পের শর্টফিল্ম, ওয়েব সিরিজ বা এক ঘণ্টার কাজ ছেড়ে দিতে হয়।এখন কী কী কাজ করছেন?এর মধ্যে শেষ করলাম মাবরুর রশীদের ‘আই এম সরি’, ভিকি জায়েদের ‘এনাদার স্টোরি’, শিহাব শাহীন ও হাসান রেজাউলের নাম ঠিক না হওয়া একটি করে কাজ।শেষ তিন প্রশ্নমেহ্জাবীন, সাফা কবির, সাবিলা—কাকে অভিনয়ে দশ-এ দশ দেবেন? মেহ্জাবীন।আলাদিনের জাদুর প্রদীপ হাতে পেলে প্রথমে কী চাইবেন? ধোঁকা, বিশ্বাস ভাঙা ও মিথ্যা কথা বলা মানুষগুলোকে দূরে রাখতে বলব।দেশের বাইরে ঘুরতে গেলে কাকে সঙ্গে নিতে চান? বলব না। সিক্রেট! | 380,941 |
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৪ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৪ | নাটোর,লালপুর,অপরাধ | 0 | লালপুরে আ.লীগ কর্মীকে খুনের ঘটনায় মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/109138 | নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগের কর্মী সাখাওয়াত হোসেনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাতে সাখাওয়াতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে লালপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। বিএনপির ১৭ কর্মী-সমর্থককে মামলার আসামি করা হয়েছে।দুর্বৃত্তরা বুধবার বেলা দেড়টার দিকে সাখাওয়াতকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় তাঁর সহযোগী জাকির হোসেনও আহত হন। তিনি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। লালপুর থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। | 39,009 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৮ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৮ | বিশাল বাংলা | 0 | গণগবেষক সম্মেলন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1044931 | নওগাঁর মান্দায় গতকাল বৃহস্পতিবার গণগবেষক সম্মেলন হয়েছে। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর সেতুবন্ধ প্রকল্প এর আয়োজন করে। সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ। এ উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। নওগাঁ প্রতিনিধি | 276,730 |
পটুয়াখালী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০৫:২৮ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০৫:২৮ | পটুয়াখালী,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | তিন মাসেও সেতু মেরামত হয়নি, ভোগান্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/730474 | পটুয়াখালীর দুমকির লেবুখালী হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন ভাড়ানী খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতু গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভেঙে খালের ওপর পড়ে যায়। কিন্তু এখনো এটি মেরামত না হওয়ায় খালের দুই পারের মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে ওই খাল পার হতে হচ্ছে।কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ভাড়ানী খালের পূর্ব পাড়ে অবস্থিত হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লেবুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। সেতু মেরামত না করায় এসব বিদ্যালয়ের খালের পশ্চিম পারের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া দুই পারের লোকজনের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এই সেতু। কিন্তু ওই দিন (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তীব্র স্রোতে এলজিইডির পুরোনো লোহার সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে খালের দুই পারের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা।দুর্ভোগের শিকার শিক্ষার্থী ও দুই পারের লোকজন সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবিতে ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালীতে মানববন্ধন করেন।গত শুক্রবার ওই দুই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে খাল পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে। এ সময় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলে, পানির স্রোত বাড়লে ট্রলারে পার হতে ভয় হয়। এরপরও তারা ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হয়ে বিদ্যালয়ে যায়।হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৭০০ থেকে ৮০০ শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী এই সেতু পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতেন। সেতুটি ভেঙে পড়ায় এখন ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ ট্রলারে, আবার অনেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে পাগলা এলাকার সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন।লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার সিকদার বলেন, পুরোনো জরাজীর্ণ এই সেতু মেরামতের জন্য বারবার এলজিইডিকে জানানো হচ্ছে। এরপরও সেতু মেরামত করা হচ্ছে না।দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সিকদার বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের ভোগান্তি লাঘবে সেতুটি পুনর্নির্মাণ করতে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।এলজিইডির পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. হানিফ বলেন, সেতুটি এমনিতেই পুরোনো ছিল। এ ছাড়া খালের পানির প্রবল স্রোতের কারণে সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে। তবে সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সেতুটি মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান। | 189,206 |
জোসেফ স্টিগলিৎস | opinion | মতামত | ১১ এপ্রিল ২০১৭, ০১:২১ | ১১ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:২৮ | আন্তর্জাতিক,লেখকের কলাম,প্রতীক বর্ধন | 0 | রাশিয়া কেন উন্নতি করতে পারল না? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1141491 | স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির সিকি শতাব্দীর পর আজ আবারও পাশ্চাত্য ও রাশিয়া মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার অন্তত এক পক্ষের কাছে ব্যাপারটা আদর্শগত নয়, তাদের কাছে এটা খোলাখুলিভাবে ভূরাজনৈতিক ব্যাপার। সোভিয়েত-উত্তর যুগে পাশ্চাত্য নানাভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। বহুদিনের একনায়কদের উৎখাতে বিভিন্ন দেশে নানা ‘রঙের’ যে বিপ্লব হয়েছে, তার ব্যাপারে উচ্ছ্বাস লুকানোর চেষ্টা পাশ্চাত্য খুব একটা করেনি। তবে এই একনায়কদের জায়গায় যে নেতারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা যতই ভান করুন না কেন, তাঁরা ঠিক অতটা অঙ্গীকারবদ্ধ নন।সাবেক সোভিয়েত ব্লকের অনেক দেশেই কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার ক্ষমতায় আছে। তাঁদের অনেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো কীভাবে নির্বাচিত হওয়ার ভান ধরা যায় সেই বিদ্যায় কমিউনিস্ট পূর্বসূরিদের চেয়েও বেশি দক্ষতা অর্জন করেছেন। তাঁরা ‘অনুদার গণতন্ত্রের’ ধারণা বিক্রি করছেন প্রায়োগিকতার ধুয়া তুলে, ইতিহাসের সর্বজনীন তত্ত্বের ভিত্তিতে নয়। এই নেতারা দাবি করেন, তাঁরা স্রেফ কাজ করিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিক কার্যকর।জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দেওয়া ও ভিন্নমত দমনের বেলায় এটা বিশেষভাবে সত্য। যদিও দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে তাঁরা অতটা কার্যকর নন। কথা হচ্ছে, রাশিয়া একসময় পৃথিবীর দুই পরাশক্তির একটি হলেও এখন তার মোট দেশজ উৎপাদন জার্মানির ৪০ শতাংশ ও ফ্রান্সের ৫০ শতাংশের কিছু বেশি। দেশটির মানুষের গড় আয়ু পৃথিবীতে ১৫৩তম। অর্থাৎ এই সূচকে তার অবস্থান হন্ডুরাস ও কাজাখস্তানের ঠিক পরেই।মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থান এখন বিশ্বে ৭৩তম (ক্রয়ক্ষমতার সাম্যের ভিত্তিতে)। মানে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যে প্রান্তস্থ দেশগুলো ছিল, রাশিয়ার অবস্থা এখন সেগুলোর চেয়েও খারাপ। দেশটির শিল্পকারখানা কমে গেছে। ফলে তার রপ্তানির সিংহভাগই আসে প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে। দেশটি স্বাভাবিক বাজার অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হতে পারেনি; বরং সেখানে অদ্ভুত রকম এক দলবাজির পুঁজিবাদ গড়ে উঠেছে।হ্যাঁ, তা সত্ত্বেও রাশিয়া এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার গড়পড়তা অবস্থানের চেয়ে বেশি সামর্থ্য দেখায়, যেমন পারমাণবিক শক্তির বেলায়। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তার এখনো ভেটো দেওয়ার সামর্থ্য আছে। আর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির ওয়েবসাইট হ্যাক করে সে জানান দিল, পশ্চিমের নির্বাচনে নাক গলানোর সামর্থ্য তার আছে।এটা বিশ্বাস করার সব কারণই আছে যে এই নাক গলানো চলতেই থাকবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাজে রুশিদের সম্পর্ক থাকায় মার্কিনরা তাঁদের রাজনীতিতে রুশ প্রভাব নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। তবে চলমান তদন্তের মাধ্যমেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে।আয়রন কার্টেনের (আদর্শিক বিভাজন) পতনের সময় অনেকেই রাশিয়া ও বৃহত্তর অর্থে সোভিয়েত ইউনিয়ন নিয়ে বড় আশা পোষণ করতেন। তবে সাত দশকের সমাজতান্ত্রিক শাসনের পর রাশিয়ার পক্ষে বাজার অর্থনীতিতে ঢোকা সহজ ছিল না। কিন্তু সদ্য পড়ে যাওয়া ব্যবস্থার তুলনায় গণতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতির সুবিধা দৃশ্যত অনেক বেশি হওয়ায় ধারণা করা হয়েছিল অর্থনীতি বিকশিত হবে এবং নাগরিকেরা বৃহত্তর স্বাধীনতা দাবি করবে।কিন্তু ভুলটা কোথায় হলো? দোষটা কার? যদি কারও তা থাকে? রাশিয়ার সমাজতন্ত্র-উত্তর ক্রান্তিকাল কি ভালোভাবে সামলানো যেত?আমরা কখনো নিশ্চিতভাবে এই সমস্যার উত্তর দিতে পারব না। ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আজ আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, তার আংশিক কারণ হচ্ছে ওয়াশিংটন কনসেনসাসের অন্তর্গত ভুল, যার আলোকে রাশিয়ার ক্রান্তিকাল পরিচালিত হয়েছে। সংস্কারবাদীরা বেসরকারীকরণের ওপর যে ব্যাপক জোর দিয়েছেন, তার মধ্যেই এই কাঠামোর প্রভাব প্রতিফলিত হয়। তা সে যেভাবেই করা হোক না কেন, এখানে গতিই সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে। এমনকি বাজার অর্থনীতির কার্যকারিতার জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল, তার মধ্যেও এই তাড়াহুড়ো দেখা গেছে।১৫ বছর আগে আমার বই গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড ইটস ডিসকনটেন্ট-এ লিখেছিলাম, অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে এই শক থেরাপি মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হবে। আবার এই তরিকার সমর্থকেরা ধৈর্য ধরার কথা বলেছিলেন। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য থাকলেই কেবল এ ধরনের কথা বলা যায়। আজ সিকি শতকেরও বেশি সময় পরে আগের সেই ফলাফলের সত্যতা আরও নিশ্চিত হয়েছে। যাঁরা তর্ক করেছিলেন যে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার আইনের শাসনের বৃহত্তর দাবি তুলবে, তাঁরা ভুল প্রমাণিত হয়েছেন। ব্যাপারটা হয়েছে কি, রাশিয়াসহ বিভিন্ন ক্রান্তিকালীন দেশ এখন উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায় আগের চেয়েও বেশি পিছিয়ে পড়েছে। এমনকি এই মুহূর্তে কিছু কিছু দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ক্রান্তিকালের শুরুর চেয়েও কম। রাশিয়ার অনেকেই বিশ্বাস করেন, মার্কিন অর্থ বিভাগ ওয়াশিংটন কনসেনসাস কাজে লাগিয়ে তাদের অর্থনীতি দুর্বল করে ফেলছে।আমি বিশ্বাস করি, এই ব্যাখ্যা অতটা হানিকর নয়। ব্যাপারটা হচ্ছে ভুল চিন্তার উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক না কেন, তার ফলাফল গুরুতর হতে পারে। রাশিয়াতে ব্যক্তিগত লোভ চরিতার্থ করার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, তা সংবরণ করা খুবই কঠিন ছিল। পরিষ্কারভাবে রাশিয়াতে গণতন্ত্রায়ণ নিশ্চিত করার জন্য সবার সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হতো, ধনিকতন্ত্র তৈরির নীতি গ্রহণ করে সেটা সম্ভব নয়।তবে পশ্চিম যে মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেশ তৈরির সংকল্প করে ব্যর্থ হয়েছে, সেটাও খাটো করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র এখন ট্রাম্প প্রশাসনের চরমপন্থা রুখতে লড়াই করছে, যাতে সেটা দেশের স্বাভাবিক রীতি না হয়ে যায়। কিন্তু একই সঙ্গে অন্যান্য দেশ যেমন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের মতো ব্যাপারও যেন স্বাভাবিক রীতিতে পরিণত না হয়।অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট।জোসেফ স্টিগলিৎস: নোবেল বিজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ। | 310,810 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:১৫ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৮ | রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,নির্বাচন,আওয়ামী লীগ | null | কাদেরের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৫ গুণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1567937 | গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে পাঁচ গুণের বেশি। এ সময় তাঁর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী বিনিয়োগ বেড়েছে। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদেরের জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর পেশা ছিল সাংবাদিকতা। লেখালেখি থেকে তাঁর আয় ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তাঁর আইনজীবী স্ত্রীর আয় ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে কাদেরের দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, সাংসদ ও মন্ত্রী হিসেবে ভাতা এবং বই ও পত্রপত্রিকায় লেখালেখি তাঁর পেশা। এর বাইরে তাঁর আয়ের উৎস বাড়িভাড়া। কাদেরের বাৎসরিক আয় ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা। আর তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১০ লাখ ৫৬ হাজার ২১৫ টাকা।২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে কাদেরের অস্থাবর সম্পদের প্রায় সবকিছুই জব্দ ছিল। ব্যাংকে তাঁর জমা ছিল প্রায় ৪ লাখ ৮৮ হাজার এবং স্ত্রীর নামে ছিল সাড়ে ৬৯ হাজার টাকা। দুটি হিসাবই জব্দ করা ছিল। বর্তমানে কাদেরের ব্যাংকে জমার পরিমাণ প্রায় ৮৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে প্রায় ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।১০ বছর আগে কাদেরের বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল সাড়ে ১৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর বিনিয়োগ ছিল ৪২ লাখ টাকা। এসব বিনিয়োগও জব্দ ছিল। বর্তমানে কাদেরের সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে বিনিয়োগ আছে ৫৫ লাখ টাকা।১০ বছর আগে কাদেরের নিজের কোনো গাড়ি ছিল না। বর্তমানে ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে তাঁর। কাদেরের স্ত্রীর নামে আগে একটি গাড়ি ছিল, সেটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে কাদেরের একটি শটগান ও একটি পিস্তল ছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে শটগান ও পিস্তলটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।কাদেরের স্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে উত্তরায় একটি ৫ কাঠার প্লট, এটা ১০ বছর আগে ৩ কাঠা ছিল। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ হাজার ৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় ৪ দশমিক ৭৪ একর কৃষিজমি আছে। ১০ বছর আগে স্ত্রীর ভাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া ৩ লাখ টাকা ঋণ ছিল কাদেরের। বর্তমানে কোনো দেনা নেই।২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা ছিল ২৪টি। এর মধ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা ছিল। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আগের মামলাগুলো থেকে কাদের অব্যাহতি পেয়েছেন, কিছু মামলা খারিজ হয়েছে। | 384,524 |
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:১৫ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৩ | শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণ | 0 | অসমাপ্ত জীবনের উদ্যাপন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/98341 | শেষ কবে দেখা হয়েছিল আমার শিক্ষক রাশিদুল হাসানের সঙ্গে? শেষ কবে মুনীর চৌধুরীর ক্লাসে লুকিয়ে ঢুকে বসে পড়েছি এবং মুগ্ধ হয়ে শুনেছি তাঁর বক্তৃতা? অথবা আপনভোলা গিয়াসুদ্দিন আহমেদ কিংবা ঘড়ির কাঁটা ধরে ক্লাসে উপস্থিত হওয়া সন্তোষ ভট্টাচার্যকে দেখে শেষ সালাম কবে জানিয়েছি? এখন আর তা মনে নেই। কিন্তু তাঁদের ভুলে থাকা যায় না। শুধু যে ১৪ ডিসেম্বর এলে তাঁরা ভেসে ওঠেন স্মৃতির আয়নায়, তা নয়। মাঝেমধ্যেই ভাবি এই চার কৃতী শিক্ষকের কথা। রাশিদুল হাসান ছিলেন ইংরেজি বিভাগে আমার শিক্ষক। গিয়াসুদ্দিন আহমেদ ও সন্তোষ ভট্টাচার্যের কাছে ইতিহাস পড়েছি সাবসিডিয়ারি ক্লাসে। আর মুনীর চৌধুরী বাংলার শিক্ষক হলেও আমার মতো অনেককে টানতেন তাঁর ক্লাসে। তিনি মাঝেমধ্যে অবাক হয়ে বলতেন, ‘এত ছেলেমেয়ে বাংলা পড়ছে, বাহ্!’ খানিকটা রসিকতা করেই বলতেন। কারণ তিনি জানতেন, তাঁর কথা শুনতে হাজির এমনকি পদার্থবিদ্যারও কোনো ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ছিল এ চারজনের—এবং তাঁদের নয় মাস আগে পাকিস্তানি নরপশুদের হাতে প্রাণ হারানো আমার আরেক শিক্ষক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও ঋষির মতো একজন মানুষ জি সি দেবের—কর্মক্ষেত্র। কলাভবনটা এখনো আছে; তাঁরা যেসব শ্রেণীকক্ষে পড়াতেন, সেগুলোও আছে। ঠিক আগের মতো আছে কলাভবনের করিডর ও সিঁড়িগুলো। কখনো কখনো কোনো কক্ষের পাশ দিয়ে যেতে যেতে শুনি রাশিদুল হাসান স্যার কিটসের কবিতা পড়াচ্ছেন; অথবা সন্তোষ ভট্টাচার্য হাতের ঘড়ির দিকে চোখ রেখে ঢুকছেন বেলা দুইটার ক্লাসে, অথবা গিয়াসুদ্দিন স্যার যে কক্ষে ক্লাস নেবেন, ঠিক তার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘এত নাম্বার কক্ষটা জানি কোনটা?’এই মানুষগুলো কান্তিমান ছিলেন, মেধাবী ছিলেন, পরিচ্ছন্ন ছিলেন। তাঁরা সবাই ছিলেন নিষ্ঠাবান, জ্ঞানতাপস। তাঁদের মধ্যে একটা অভিন্ন ভালোবাসা ছিল সংস্কৃতির প্রতি। বাঙালি সংস্কৃতির যা কিছু ভালো, তা প্রতিভাত ছিল তাঁদের জীবনাচরণে। নাটকে ও সংস্কৃতিচর্চায় মুনীর চৌধুরীর অবদান ছিল কিংবদন্তির মতো। রাশিদুল হাসান ভালোবাসতেন গান। তাঁর মেয়ে রবীন্দ্রসংগীতের কৃতী গায়িকা হয়ে বাবার ভালোবাসাকে ভাষা ও সুর দিয়েছে। গিয়াসুদ্দিন আহমেদের সংগ্রহে ছিল কলের গান ও লংপ্লেয়িং রেকর্ডের এক বড় সংগ্রহ। আর সন্তোষ ভট্টাচার্য গুণগ্রাহী ছিলেন কমলা দেবী ও আঙুরবালার। ক্লাসে একদিন আমাদের বলেছিলেন, একটি জাতির সাংস্কৃতিক ইতিহাসই তার মূল ইতিহাস। এ কথাটা গিয়াসুদ্দিন স্যারও বিশ্বাস করতেন। ক্ষমতার ইতিহাসে যুদ্ধ ও সংঘাত থাকে, সংস্কৃতির ইতিহাসে থাকে চিত্তমুক্তি ও আলোর পক্ষে সংগ্রামের গল্প, তিনি বলতেন।১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই চারজন মানুষকে আরও অনেক জ্যোতির্ময় মানুষের সঙ্গে হত্যা করে পাকিস্তানিদের দোসরেরা। এই ঘাতকদের অনেককেই শনাক্ত করা গেছে, কিন্তু তারা নির্বিঘ্নেই আছে দেশের অপরাজনীতির ঠাকুরদের কল্যাণে।আমি অবশ্য এসব ঘাতককে নিয়ে ভাবি না। তাদের বিচার মহাকাল করবে। কিন্তু যেসব মানুষকে তারা অকালে ছিনিয়ে নিল, তাঁরা তো আরও অনেক দিন আমাদের পথ দেখাতে পারতেন। তার পরও, এসব কান্তিমান মানুষের অসমাপ্ত জীবনকে আমরা উদ্যাপন করব। তাঁরা আলো হাতে আমাদের পথ দেখাচ্ছেন—জীবনে যেমন, মৃত্যুতেও তেমনি। আমি নিতান্তই ভাগ্যবান। এসব মানুষের কয়েকজনকে কাছে থেকে দেখতে পেরেছিলাম। তাঁদের থেকে জীবনে কিছু দীক্ষা নিতে পেরেছিলাম।নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকা কেঁদেছে, কিন্তু তাঁর জীবনকে নেচে-গেয়ে উদ্যাপন করেছে। আমার চার শিক্ষকসহ ১৪ ডিসেম্বরের সব শহীদের জীবনও আমরা উদ্যাপন করব। তাহলেই তাঁদের মৃত্যুর মহিমাটা আমরা প্রতিদিন অনুভব করব, উদাহরণ হয়ে থাকা তাঁদের জীবনের সঙ্গে। | 35,647 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৫:৪১ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৫:৪২ | আইন ও বিচার | 0 | মন্ত্রণালয়ের বিধিমালা কেন অবৈধ নয়, জানতে রুল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/712117 | বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা দুটি বিধিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আজ সোমবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফরিদ আহমদ শিবলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিটকারী আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২২ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর পৃথক দুটি বিধিমালা জারি করে। সেখানে বলা হচ্ছে, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের। এর ক্ষেত্রে ওই সমস্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির শিক্ষক নিয়োগের কোনো ক্ষমতা নেই। সরকারের এ দুটি বিধিমালা প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। তাই এই দুটি বিধিমালাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছি। শুনানি শেষে আদালত আজ ওই দুটি বিধিমালা জারি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।সংশোধিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০০৫ অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা কেবল এই আইনে গঠিত ১৩ সদস্যের কমিটির। ওই কমিটির কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। এ ব্যাপারে রিটকারী আইনজীবী আরও বলেন, নতুন বিধিমালা অনুযায়ী এভাবে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজনকে ঢাকায় আসতে হবে। যা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত না।গত ২২ অক্টোবর জারি করা এক বিধিমালায় বলা হয়েছে, ২২ অক্টোবরের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দিলে তা অবৈধ ঘোষণা করা হবে। এই পদ্ধতির ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি একচ্ছত্র ক্ষমতা হারায়। | 183,207 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৩ মে ২০১৮, ১৬:২৯ | ২৪ মে ২০১৮, ১৫:২৩ | চলচ্চিত্র | null | বাঁধনের চরিত্রে এখন যুক্ত হচ্ছেন পূর্ণিমা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1494736 | জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন ছবি ‘দহন’–এ বাঁধন নেই খবরটি এরই মধ্যে জেনে গেছেন পাঠক। নতুন খবর হলো, এই ছবিতে বাঁধনের চরিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা। এরই মধ্যে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পূর্ণিমার আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে খবরটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ।দেশের চলচ্চিত্রের একসময়ের দাপুটে অভিনেত্রী পূর্ণিমা কয়েক বছর ধরে নতুন ছবির খবরে নেই। পূর্ণিমা সর্বশেষ শুটিং করেন ‘ছায়া-ছবি’ চলচ্চিত্রে। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত এই ছবিতে পূর্ণিমা নায়িকা হন আরিফিন শুভর বিপরীতে। আর মুক্তির দিক দিয়ে তাঁর অভিনীত সর্বশেষ ছবি ইফতেখার ফাহমীর ‘টু বি কন্টিনিউড’।চলচ্চিত্রে অভিনয় না করলেও শেষ কয়েক বছর বিজ্ঞাপনচিত্র আর স্টেজ প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন পূর্ণিমা। নাটকেও অভিনয় করেছেন। গত দুই বছর উপস্থাপনা করে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। রিয়্যালিটি শোর বিচারকসহ আরও নানা ধরনের কাজ নিয়ে ভক্ত আর দর্শকদের সামনে এসেছেন।গত বছর নভেম্বরে ‘ভবঘুরে’ নামে একটি ছবির মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় ফেরার ইঙ্গিত দেন পূর্ণিমা। স্বপন আহমেদ পরিচালিত ছবিটি প্যারিসে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হবে। শেষ মুহূর্তে জানা যায়, ছবিটিতে কাজ করতে পারছেন না পূর্ণিমা। কারণ হিসেবে প্রথম আলোকে এই নায়িকা জানান, দূতাবাস থেকে প্যারিস যাওয়ার ভিসাও পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৈরী আবহাওয়া। তাই কয়েক বছর বিরতির পর ‘ভবঘুরে’ ছবি দিয়ে আর শুটিংয়ে ফেরা হয়ে উঠল না তাঁর।‘দহন’ ছবিতে সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করবেন পূর্ণিমা। এর আগে এই চরিত্রের জন্য বেশ জমকালো আয়োজনে নায়িকা হিসেবে বাঁধনের নাম ঘোষণা দেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এক মাস না পেরোতেই পাল্টা ঘোষণায় জাজ থেকে জানানো হয়, ‘দহন’ ছবির নায়িকা হিসেবে থাকছেন না বাঁধন।‘দহন’ ছবিতে পূর্ণিমা নায়িকা হতে যাচ্ছেন নবাগত সিয়ামের বিপরীতে। সঙ্গে আরও থাকছেন পূজা চেরি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার এই ছবির মধ্য দিয়ে ছয় বছরের মাথায় চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে ফিরতে যাচ্ছেন পূর্ণিমা।শোনা যাচ্ছে, ‘দহন’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শুরুতেই নাকি পূর্ণিমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই সময় পূর্ণিমা রাজি না হওয়ায় বাঁধনকে নেওয়া হয়। এখন বাঁধন বাদ পড়ার কারণে আবার পূর্ণিমাকে নিয়েই কাজটি করতে যাচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পূর্ণিমার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমি আজ বুধবার দেশের বাইরে যাচ্ছি। পরশু শুক্রবার ফিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে সব নিশ্চিত করব। তবে আলাপ যত দূর এগিয়েছে, তাতে পূর্ণিমা এই ছবির সঙ্গে থাকছেন, তা নিশ্চিত।’ | 364,805 |
নোয়াখালী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:০৩ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:১১ | রাজনীতি | null | শেখ হাসিনা সারা দুনিয়ায় প্রশংসিত: কাদের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1330196 | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় যোগ দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত অসহায় লাখ লাখ বিপন্ন রোহিঙ্গা মুসলমানের পক্ষে জনমত গড়ে তুলেছেন। যাতে সারা বিশ্বের নামীদামি রাষ্ট্রনায়কেরা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আজ রোহিঙ্গাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে তিনি সারা দুনিয়ার প্রশংসা পাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি, বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। তাদের কোনো কাজ নেই। শুধু সমালোচনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনাকে দেখতে পারে না বলে তাঁর কাজ তাদের পছন্দ হয় না। যাকে দেখতে নারী, তাঁর চলন বাঁকা। বিএনপির আজ আওয়ামী লীগ যতটা না শত্রু, তার চেয়ে বড় শত্রু হলো শেখ হাসিনা। মন্ত্রী সুবর্ণচরকে পৌরসভায় উন্নীত করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট রেললাইন নির্মাণে একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রয়েছে। সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সদর উপজেলার পানি নিষ্কাশনে নোয়াখালী খাল সংস্কারে ৪৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে। শিগগিরই সেনাবাহিনী কাজ শুরু করবে। সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মির্জা আজম, সাংসদ মোরশেদ আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এচই এম খায়রুল আনাম চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তৃতা করেন। | 339,161 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ১৫:২৪ | ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:২৬ | সংগীত | 0 | চলে গেলেন খন্দকার নুরুল আলম | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/747328 | প্রখ্যাত সুরকার খন্দকার নুরুল আলম মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।খন্দকার নুরুল আলমের মৃত্যু খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন গীতিকার রফিকুজ্জামান। খন্দকার নুরুল আলমের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। রফিকুজ্জামন বলেন, ‘খন্দকার নুরুল আলমের মৃত্যুতে জাতি যে কি হারিয়েছে তা বুঝতে সময় লাগবে। আর আমি তো আমার জীবনের অর্ধাংশ হারিয়ে ফেললাম। আমার সংগীতজীবনের শুরুটাও হয়েছিল তাঁর মাধ্যমে। তিনিই আমার প্রথম গান ‘যে সাগর দেখে তৃপ্ত দু’চোখে’র সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন। সব মিলিয়ে আমার জীবনের শতাধিক গানের সুর ও সংগীতপরিচালনা করেন তিনি। সেই হিসেবে বলতে পারি, আমার জীবনের পুরোটা জুড়ে তিনি ছিলেন।’খন্দকার নুরুল আলম বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা সুরকার। অসংখ্য গানে সুর দেওয়ার পাশাপাশি তিনি অনেক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। ‘উজালা’ (ঊর্দু), ‘ওরা এগারো জন’, ‘দেবদাস’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শাস্তি’, ‘শংখনীল কারাগার’, ‘বিরাজ বৌ’-এর মত দর্শকনন্দিত ও সমালোচকদের প্রশংসাধন্য চলচ্চিত্রগুলোর সংগীত পরিচালক ছিলেন তিনি। তাঁর সুর দেওয়া গানে কন্ঠ দিয়েছেন এ দেশের খ্যাতিমান বহু সংগীতশিল্পী। এঁদের মধ্যে আছেন সুবীর নন্দী, অ্যান্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লা প্রমুখ।দীর্ঘ সংগীতজীবনে খন্দকার নুরুল আলম ছয় শাতাধিক গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে আছে ‘চোখ যে মনের কথা বলে’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘এত সুখ সইব কেমন করে’।খন্দকার নুরুল আলম ১৯৩৯ সালের ১৭ আগষ্ট ভারতের আসামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অনেক শুভাকাঙ্খি ও গুণগ্রাহি রেখে গেছেন। | 194,507 |
বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ মার্চ ২০১৭, ০১:৪৪ | ২৪ মার্চ ২০১৭, ০১:৪৫ | পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | খুরা রোগে ২৫টি গরুর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1118056 | পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১০ দিনে প্রায় ২৫টি গরু মারা গেছে। এতে খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি বিশেষজ্ঞ দল গতকাল বৃহস্পতিবার আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১০ থেকে ১২ দিন আগে উপজেলার নাড়িয়াগোদাই, রুদ্রগাতি, পাইকশাসহ বিভিন্ন গ্রামের গরু-বাছুরের মধ্যে খুরা রোগ দেখা দেয়। তবে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে নাড়িয়াগোদাই গ্রামে। এ রোগ ওই গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ৭০ থেকে ৮০টি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়। খামারিরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু করলেও একপর্যায়ে কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৫টি গরু মারা যায়। এর মধ্যে নাড়িয়াগোদাই গ্রামেরই ১৮টি গরু রয়েছে। রুদ্রগাতি গ্রামের খামারি ও মিল্ক ভিটার রুদ্রগাতি-নতুনপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি সেলিম হোসেন বলেন, ‘সব মিলিয়ে ২৪ থেকে ২৫টি গরু মারা গেছে।’ এদিকে খুরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পেয়ে গতকাল ঢাকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুরা রোগ শাখার প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অফিসার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে। ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘রোগটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা সাঁথিয়ায় ইতিমধ্যেই ১০ হাজার খুরা রোগের প্রতিষেধক পাঠিয়েছি। খামারিরা ছয় মাস ব্যবধানে বছরে দুবার তাঁদের গরুকে এই প্রতিষেধক দিলে রোগটি হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।’ | 305,986 |
পঞ্চগড় প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১৩ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:১৫ | পঞ্চগড়,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের আগে ভোট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/137365 | পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত একক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গতকাল শনিবার ভোট নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে এক সভার আয়োজন করা হয়। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ মো. মজাহারুল হক প্রধান উপস্থিত ছিলেন। সভায় সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা অংশ নেন। সভায় চেয়ারম্যান পদে মো. আনোয়ার সাদাতকে এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. ফরহাদ হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। সভায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুফিয়া খানম ও জোহরা আকতার দলীয় সমর্থন দাবি করেন। পরে ভোটাভুটির মাধ্যমে দল-সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। সুফিয়া খানম ১২৯ ভোট, আর জোহরা আকতার ৫৮ ভোট পান।মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামায় সুফিয়া খানম পেশা হিসেবে গৃহিণী এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা চতুর্থ শ্রেণী উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পদ বলতে নগদ ১০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ৪০ হাজার টাকার আসবাব এবং স্থাবর সম্পত্তি বলতে ২২ হাজার টাকা মূল্যের ১০ শতক জমি আছে বলে উল্লেখ করেছেন। স্বামী মৃত। আয়ের কোনো উৎসের কথা উল্লেখ করেননি তিনি।আর জোহরা আকতার পেশা হিসেবে গৃহিণী এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাস উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নিজের নামে নগদ ৩০ হাজার, স্বামীর নামে ৩০ হাজার টাকা, নিজ নামে ৮৩ হাজার টাকার আসবাব, স্বামীর নামে ৫০ হাজার টাকার আসবাবের কথা উল্লেখ করেছেন। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নিজ নামে ১০ একর কৃষিজমি, পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের বাড়ি আছে। তিনি কৃষি খাত থেকে বার্ষিক ৯৫ হাজার টাকা আয় করেন। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, দলীয় সভানেত্রীর চিঠির আলোকে পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী থাকায় ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। | 48,340 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১১ | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১১ | বাণিজ্য | 0 | সোনালী ব্যাংক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ সরকারের নির্দেশে! | http://www.prothom-alo.com/economy/article/508156 | সরকারের ইচ্ছা পূরণ করতেই সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। তবে পদত্যাগপত্রে তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করেছেন। গত রোববার তিনি পদত্যাগপত্র ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠান।মেয়াদপূর্তির আগে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ নিয়ে ব্যাংকে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, হাবিবুর রহমানকে দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের চাহিদা মেটানো যাচ্ছিল না। সে জন্য তাঁকে সরে যেতে বলা হয়।তবে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো পদত্যাগপত্রে বলেছি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছি।’ অন্য কোনো বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। বরং বলেছেন, তাঁর সময়ে ব্যাংকের উন্নতি হয়েছে।২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে ব্যাংকটিতে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিল সরকার। সে হিসেবে তিন বছরের মেয়াদ শেষ হতো আগামী ২৬ ডিসেম্বর।হল-মার্ক কেলেঙ্কারির পর বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে এর কিছুদিন পর ব্যাংকের কয়েকজন পরিচালকের মেয়াদপূর্তি হলে তাদের আর পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আর তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলামকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা হলে অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের সাবেক ডিন ও বর্তমানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ডিন।সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে উত্থাপিত তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল শেষে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৯৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০১৩ সালে বিতরণ করা ঋণ ছিল ৩৪ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। আর ২০১৪ সালে তা হয়েছে ৩৩ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। তবে শ্রেণীকৃত ঋণ কিছুটা কমে ৮ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা হয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় কমেছে ৬৭০ কোটি টাকা।এ সম্মেলনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম বলেন, ব্যাংকটি তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সোনালী ব্যাংকের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডির সঙ্গে পারফরম্যান্স চুক্তি করা হয়।যোগাযোগ করা হলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান স্যারকে বলেছিলাম আজকের পর্ষদ সভাতে যোগ দিতে। কিন্তু তিনি বলেন, না আজই (গত রোববার) তিনি পদত্যাগ করবেন।’তবে প্রদীপ কুমার দত্ত ব্যাংকের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন। | 132,962 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৫৬ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৫৯ | ফুটবল,মেসি,আর্জেন্টিনা,ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো | null | মেসির পাশে বসতে রাজি হননি রোনালদো | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1568533 | ম্যাচ দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের, খেলছে আর্জেন্টিনার দুই দল। সে খেলাই এখন হবে স্পেনের রাজধানীতে। রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হতে যাচ্ছে কোপা লিবার্তাদোরেস ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার রাতে। আর সে ম্যাচ মাঠে বসে পাশাপাশি দেখার কথা ছিল লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর! এমন পরিকল্পনাই করেছিলেন রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কিন্তু সেটা আর হলো না।স্প্যানিশ দৈনিক এএস জানিয়েছিল, কনমেবল, স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) ও রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের চাওয়া, মেসি-রোনালদো থাকুন বার্নাব্যুর প্রাইভেট বক্সে। গত এক দশকে বিশ্ব ফুটবলের দুই ‘রাজা’কে সম্মান জানানোর প্রয়াস এটি। পেরেজও দুজনকে আলাদা করে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রিয়াল সভাপতি চান, মেসি-রোনালদো দুজন পাশাপাশি বসে খেলা দেখুন। দুর্ভাগ্য বলুন বা সৌভাগ্য, এ ম্যাচ রিভারের মাঠে হলে এ দুজনকে কোনোভাবেই পাওয়া যেত না এ ম্যাচে। একে তো ম্যাচটি হচ্ছে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবের মধ্যে। প্রথমবারের মতো মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলছে তারা। মেসি নিশ্চিত করেছেন, তিনি থাকছেন। আর্জেন্টাইন তিনি, আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবের ফাইনাল...মেসি কি আর সেটি মিস করেন! সময়ের সবচেয়ে বড় দুই তারকাকে বার্নাব্যুতে পাশাপাশি দেখার জন্য শুধু রোনালদোর সম্মতির অপেক্ষা ছিল। এই মৌসুমেই রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে যাওয়া পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের রোববার মাঠে অন্তত কোনো ব্যস্ততা নেই, লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচটা শুক্রবার রাতেই শেষ। কিন্তু রিয়াল ছাড়ার পর প্রথমবার বার্নাব্যুতে ফেরার পথে রোনালদোর বাধা নাকি রিয়াল ছাড়ার সময়ের তিক্ত স্মৃতি। রোনালদোর ঘনিষ্ঠ সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএস লিখেছে, ‘আমন্ত্রণটা গ্রহণ করে মেসির পাশে ভিআইপি এরিয়াতে বসে খেলা দেখতে ক্রিস্টিয়ানোর ভালোই লাগবে। কিন্তু (রিয়াল ছাড়ার সময়ের) আঘাত এখনো পুরোপুরি সারেনি।’ এবং এ কারণেই বার্নাব্যুতে অন্তত এ মাসে ফেরা হচ্ছে না রোনালদোর।এমনিতেই দুজনকে শুধু ব্যালন ডি’ অর, ফিফা বেস্ট কিংবা উয়েফার সেরার পুরস্কারের দিন ছাড়া পাশাপাশি দেখা যায় না। এবার তিনটি প্রতিযোগিতাতেই লুকা মদরিচের জয়জয়কার হওয়ায়, দুজনই অনুপস্থিত ছিলেন সব অনুষ্ঠানে। ফলে এ দুজনকে পাশাপাশি না দেখেই শেষ হতে যাচ্ছে ২০১৮ সাল। | 384,913 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১২ মে ২০১৯, ১১:০০ | ১২ মে ২০১৯, ১৪:১৯ | মোস্তাফা জব্বার,তথ্যপ্রযুক্তি | null | ৫ বছরে দেশের পরিবর্তন হবে অচিন্তনীয়: মোস্তাফা জব্বার | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1593455 | ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ হচ্ছে উদ্ভাবনের যুগ। চলমান ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের এই যুগে যারা উদ্ভাবন করবে না, তারা টিকবে না। বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। উদ্ভাবনের দিক থেকে বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন হবে অচিন্তনীয়।মন্ত্রী গতকাল শনিবার ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং ২০১৯’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠী আছে এবং তারা খুবই মেধাবী। তারাই আমাদের উদ্ভাবনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারবে। তারুণ্যের ব্যবহার করতে হবে উদ্ভাবনের জন্য। বাংলাদেশ গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব রূপান্তরের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি দেখিয়েছেন, তা বিস্ময়কর।’মোস্তাফা জব্বার বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সাম্প্রতিক উদ্ভাবন খুবই ফলপ্রসূ ভূমিকা রেখেছে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, এটুআই পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রধান উদ্ভাবনী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বক্তব্য দেন।ইনোভেশন শোকেসিং আয়োজনে বিটিআরসির আইএমইআই ডেটাবেইস ও এনওসি স্বয়ংক্রিয়করণ এবং কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ প্ল্যাটফর্ম। বিটিসিএলের ডায়ালার, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদ ও টেলিটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ভর্তি ব্যবস্থা ও ফলাফল যাচাইকরণ এবং আইভিআর ব্যবহার করে দুর্যোগের আগাম বার্তা প্রদানের সুবিধাগুলো প্রদর্শন করা হয়। | 401,683 |
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মার্চ ২০১৭, ১৬:০৬ | ১৮ মার্চ ২০১৭, ১৬:০৮ | ঈশ্বরদী,পাবনা,রাজশাহী বিভাগ | 0 | ঈশ্বরদীতে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী পথসভা শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1111945 | জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্থানীয় জনগণকে এতে সম্পৃক্ত করার জন্য আজ শনিবার থেকে পাবনার ঈশ্বরদীতে পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘জঙ্গিবিরোধী পথসভা’ কর্মসূচি।পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবিরের নির্দেশে ঈশ্বরদী পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড ও উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে এই পথসভা কর্মসূচি চলবে তিন দিন ধরে। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঈশ্বরদী সার্কেল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা ১১টায় ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে পুলিশের প্রথমে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী কাজে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ঈশ্বরদীর প্রতিটি ওয়ার্ডে তিন দিন ধরে চলবে জঙ্গিবিরোধী পথসভা।পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হকের নেতৃত্বে বেলা একটার দিকে শুরু হয় জঙ্গিবিরোধী পথসভা। পুলিশ সদস্যরা মাইক্রোবাসে ব্যানার টাঙিয়ে মাইকে প্রচারণা চালান। পাকশী বিবিসি বাজার ও রূপপুরের বিভিন্ন মোড়ে অনুষ্ঠিত এই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী পথসভায় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য দিয়ে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক প্রথম আলোকে জানান, পাবনা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরের নির্দেশে ঈশ্বরদীতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ পথসভা শুরু করা হয়েছে। তিন দিন ধরে চলবে এই পথসভার কাজ। এরপর বিভিন্ন মহল্লায় গঠন করা হবে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী কমিটি।জঙ্গিবিরোধী পথসভায় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কাশেম, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান, পাকশী ইউপির চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রশিদুল্লাহ প্রমুখ। | 303,810 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৯ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৬ | ০৯ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৬ | বিনোদন,টেলিভিশন | 0 | আজকের ছবি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/187822 | এনটিভিসকাল ৮-৪৫ রাজা কেন সন্ত্রাসী (অমিত হাসান, শাহনাজ, রানী)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ গরীবের রানী।আরটিভিবেলা ১২-৩০ রাগ অনুরাগ (শাবনাজ, বাপ্পারাজ)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-৫০ জীবন চাবি।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ মানুষ মানুষের জন্য (শাকিল খান, পপি)।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৩৫ ভুল বিচার (আলমগীর, শাবানা)।এসএ টিভিসকাল ৯-৩০ বুকের ভিতর আগুন।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩০ বন্দিনী কমলা (বিকাশ রায়, সারিকা, মাধবী, ছায়া দেবী)।ইটিভি বাংলাবেলা ১-৩০ শ্রীমাণ ভূতনাথ (রঞ্জিত মল্লিক, চুমকি, শ্রীলেখা মিত্র)।জি বাংলা সিনেমাসকাল ৮-৩০ বাঁশিওয়ালা (শায়ন, পাওলি দাম, সৌমিত্র, কৌশিক সেন)। ১০-৩৫ নিমন্ত্রণ (সন্ধ্যা রায়, কালী ব্যানার্জি, অনুপ কুমার)। ১২-৪৫ কাগজের নৌকা (বিদিতা, রাজেশ, পিয়ালি)। ৩-৩০ বস্তির মেয়ে রাঁধা (চিরঞ্জিত, ঋতুপর্ণা, সৌমিত্র, রূপা গাঙ্গুলী)। ৬-৩৫ কাছে আছো তুমি (যীশু, স্বস্তিকা)। ৯-৩০ যোদ্ধা (চিরঞ্জিত, ইন্দ্রানী)।জলসা মুভিজসকাল ৯-০০ শ্যাম সাহেব (সৌমিত্র, অপর্ণা সেন, দীপঙ্কর দে)। ১১-৩০ দ্বিরাগমন (শতাব্দী রায়, দিলীপ রায়)। ২-৩০ বউ কথা কউ। ৩-০০ বেহুলা। ৩-৩০ সূর্য (প্রসেনজিৎ, রঞ্জিত মল্লিক, অরুণিমা)। ৬-৩০ বাই বাই ব্যাঙ্কক (স্বস্তিকা, নীল, রুদ্রনীল, শিলাজিৎ, কাঞ্চন মল্লিক)। ৯-৩০ ক্রান্তি (জিৎ, সস্তিকা)।জি সিনেমাসকাল ৯-১৩ শক্তি (নানা পাটেকর, শাহরুখ খান, কারিশমা কাপুর)। ১২-৪১ মুঝসে দোস্তি করোগি (সালমান খান, অক্ষয় কুমার, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া)। ৩-৫১ কিমত রোটি কা। ৬-৩৫ খলনায়ক (সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত, জ্যাকিশ্রফ)। ৯-৩০ গুলাম-ই-মোস্তফা (নানা পাটেকর, রাভিনা)।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-৫০ জুড়ুয়া (সালমান খান, কারিশমা কাপুর, রম্ভা)। ১১-৫০ ঔর এক ইলজাম। ২-৪৫ কালা পাত্থর (শশী কাপুর, রাখী, অমিতাভ বচ্চন, শত্রুঘ্ন সিনহা)। ৬-৩০ দ্য ক্যারাটে কিড। ৯-৩০ ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই (অজয় দেবগন, এমরান হাশমী, কঙ্গনা রনৌত)।স্টার মুভিজ (ভারত)সকাল ১০-০০ জর্জ অব দ্য জাঙ্গল। ১২-০০ হলো ম্যান টু। ১-৩০ জুরাসিক পার্ক (স্যাম নিল, লরা ডের্ন)। ৪-০০ জন টাকার মাস্ট ডাই। ৬-০০ ডিউস বিগালো: মেল গিগোলো ৭-৩০ আন্ডারওয়ার্ল্ড (কেট বেকিনসেল)। ৯-৩০ বোল্ট। ১১-৩০ ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস (ভিন ডিজেল, পল ওয়াকার)।ফক্স মুভিজসকাল ৯-৫০ ফ্রাঙ্কেনউইনি। ১১-২০ নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম। ১-১০ জাস্ট গো উইথ ইট (অ্যাডাম স্যান্ডলার, জেনিফার অ্যানিস্টন)। ৩-১০ দ্য কল (হ্যালি বেরি)। ৪-৫০ দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড: জুরাসিক পার্ক (জুলিয়ান মুর, জেফ গোল্ডব্লাম)। ৫-২০ ট্র্যান্স। ৭-০০ জুরাসিক পার্ক থ্রি (স্যাম নিল, টি লেওনি)। ৮-৩৫ দ্য ক্রুডস। ১০-১৫ দ্য গ্রিন হর্নেট।এইচবিওসকাল ৯-৪৩ ইন্সপেক্টর গেজেট। ১১-১০ হ্যানা মন্টানা (মাইলি সাইরাস)। ১-০৪ শুটার (মার্ক ওয়ালবার্গ)। ৩-২৩ দ্য রুমমেট। ৫-০১ রিচি রিচ (ম্যাকলি কালকিন) ৬-৫২ দ্য টোয়াইলাইট সাগা: নিউ মুন (রবার্ট প্যাটিনসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট)। ৯-৩০ রেড (ব্রুস উইলিস, মরগ্যান ফ্রিম্যান)। ১১-৪৪ গেমার (জেরার বাটলার)। | 64,643 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ আগস্ট ২০১৭, ২২:৩৮ | ২২ আগস্ট ২০১৭, ২২:৪০ | -1 | null | প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীকে চোখ রাঙিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1298946 | ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তাঁরা এ দাবি জানান।মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্যসচিব সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চোখ রাঙিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন, পাকিস্তানের মতো প্রধানমন্ত্রীকে তিনি পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারেন। সরকারদলীয় এই সাংসদ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসে প্রধানমন্ত্রীকে এ রকম হুমকি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এটা শপথ ভঙ্গের শামিল।’ফজলে নূর তাপস আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধান বিচারপতি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছেন। তিনি সংসদকে হেয় করেছেন। তিনি আমাদের মহিলা সাংসদদের কটূক্তি করেছেন। রায়ে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি কারও সার্ভেন্ট নন। এই প্রজাতন্ত্রের তিনি কোনো কর্মকর্তা নন। তিনি হলেন মাস্টার নিজেই। আমরা এর নিন্দা জানাই।’মানববন্ধনে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, নুরুল ইসলাম, লায়েকুজ্জামান মোল্লা, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সানজিদা খানম ষোড়শ সংশোধনী রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেন। | 334,192 |
নিজস্ব প্রতিবেদক,সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ জুন ২০১৬, ০১:২১ | ১৪ জুন ২০১৬, ০১:২৫ | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | বরজে আগুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/887299 | দুর্বৃত্তরা এক কৃষকের ২৫ শতক জমির পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়েছে। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটিতে এ ঘটনা ঘটে। পানের বরজের মালিক অমিত কুমার ব্যানার্জি জানান, তিনি প্রতিদিনের মতো শনিবার দিন পানের বরজ পরিচর্চা করেছেন। রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা খবর দেন, তাঁর বরজে আগুন জ্বলছে। তিনি গিয়ে দেখেন, বরজের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তালা থানার ওসি সগির মিয়া বলেন, কে বা কারা পানের বরজে আগুন দিয়ে কৃষকের ক্ষতি করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। | 232,113 |
-1 | education | শিক্ষা | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০১ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০৫ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি | http://www.prothom-alo.com/education/article/324631 | Words/Phrasesপ্রিয় শিক্ষার্থী, প্রশ্নকাঠামো অনুসারে আজ ইংরেজি বিষয়ের ১০ নং প্রশ্নের কিছু নির্বাচিত Write correctly (words/ Phrases/ sentences) or make question, negative statement sentences দেওয়া হলো।18(a) there, your, district, is, park, any in?(b) is, girl, on, the, hand, good, other, Bithi.(c) excellent, is, handwriting, your, how!(d) turcipe.(e) Day, Independence, 26, our, is, March.Answer(a) Is there any park in your district?(b) On the other hand, Bithi is good girl.(c) How excellent your handwriting is!(d) Picture.(e) 26 March is our Independence Day.19(a) I, what, do, say, can, you?(b) kind, are, they, polite, and.(c) fair, at, see, the, you.(d) myself, may, introduce, I?(e) goninmr.Answer(a) Can you say what I do?(b) They are polite and kind.(c) See you at the fair.(d) May I introduce myself?(e) Morning.20(a) is, excited, Bithi, very.(b) made, lot, he, a, of, mistakes.(c) ogeuiald.(d) game, you, like, what, do, to, play?(e) the, at, the, last, tortoise, won, game.Answer(a) Bithi is very excited.(b) He made a lot of mistakes.(c) Dialogue.(d) What game do you like to play?(e) At last, the tortoise won the game.বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | 94,907 |