author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩১
১৪ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩৮
খবর
0
ঢাকায় আজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/945481
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, বেলা ১১টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবে।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি: বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা সভা, বিকেল পাঁচটায়, পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে।বাংলাদেশ আওয়ামী পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা ফোরাম: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, বিকেল চারটায়, বাংলাবাজারে।বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচি, সকাল ১০টায়, দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি, বেলা একটায়, অপরাজেয় বাংলার সামনে।বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ, বিকেল চারটায়, জাতীয় জাদুঘরের সামনে।
249,728
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ মার্চ ২০১৬, ১৪:১৫
২৩ মার্চ ২০১৬, ১৪:১৬
অপরাধ
null
‘আর যেন কেউ নিখোঁজ না হন’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/807661
ইনসাইট বিডি ফাউন্ডেশনের তানভীর হাসান জোহাকে পাওয়া গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে বাসায় দিয়ে গেছেন। তানভীরের চাচা মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, আর যেন কেউ নিখোঁজ না হন।তানভীর গত ১৬ মার্চ দিবাগত রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে বাসায় পৌঁছে দেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।ঘটনার বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তানভীরের চাচা মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, গতকাল দিবাগত রাত একটা থেকে দুইটার মধ্যে তানভীরকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে গেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্য বলে তাঁর ধারণা।এর আগে মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, তানভীর মধ্যরাতে বিমানবন্দর এলাকায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করছিলেন বলে তাঁদের জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা তাঁকে চিনতে পেরে বাসায় পৌঁছে দেন।তানভীরকে ফিরে পাওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, আর যেন কেউ কখনো নিখোঁজ না হন। বাসায় ফিরে আসার পর তানভীরকে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়নি। এত দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে নিখোঁজ হলেন—এসব বিষয় জানতে চাইলে মাহবুবুল আলম বলেন, তানভীরকে বিষণ্ন ও উদ্ভ্রান্ত দেখাচ্ছে। তাঁর সুস্থতা জরুরি। তাই তাঁর কাছে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। তিনি সুস্থ হলে তাঁর সঙ্গে কথা হবে। আপাতত তাঁকে নিরাপদে রাখা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনার পর তানভীর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। নিজেকে তিনি সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। পরে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, তানভীরের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।এ ঘটনার পর গত বুধবার রাতে কচুক্ষেত এলাকায় অজ্ঞাত কয়েকজন তানভীরকে তুলে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।আরও পড়ুন...তানভীর বাসায় ফিরেছেন‘সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ’ তানভীর নিখোঁজ!প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীরের সঙ্গে আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্টতা নেইনিখোঁজ তানভীরের সন্ধান মেলেনিতানভীর হাসানের খোঁজ মেলেনি, আসকের উদ্বেগবিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাজ করেছেন তানভীর
213,315
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০১ জুন ২০১৭, ১৪:০৫
০১ জুন ২০১৭, ১৬:০৫
বলিউড
0
কেন টেকেনি মনীষার সংসার?
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1201276
২০১০ সালে বেশ ধুমধাম করেই প্রেমিক সম্রাট দাহালকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। কিন্তু সেই সংসার দুই বছরের বেশি টেকেনি। এ জন্য অবশ্য সাবেক স্বামী সম্রাটকে দায়ী করেন না তিনি। মনীষা তাঁর আসন্ন ছবি ‘ডিয়ার মায়া’-র প্রচারণার সময় নিজেই স্বীকার করেছেন যে তাঁর সংসার ভাঙার পেছনে তিনি নিজেই দায়ী। ৪৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার কাছে মনে হতো, বিয়ে বিষয়টাই খুব স্বপ্নময়। কিন্তু খারাপ সম্পর্ক বয়ে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে তা ভেঙে ফেলাই আসলে ভালো। তাহলে আর কোনো তিক্ততা সৃষ্টি হয় না।’ মনীষা জানান, ব্যবসায়ী সম্রাট দাহালকে বিয়ে করার জন্য তিনিই তাড়াহুড়ো করেছিলেন। মনীষার ভাষ্য, ‘আমি পরে বুঝতে পারি যে বিয়ে আসলে আমার জন্য নয়। আমি এ জন্য অপর পক্ষকে কোনো দোষ দিতে চাই না।’এখন আর নিজেকে অন্য কারও জীবনের সঙ্গে জড়াতে চান না এই অভিনেত্রী। বলেন, ‘আমি এখন আমার জীবন ও কাজ নিয়ে খুব সুখে আছি। আমাকে একটু আমার মতো থাকতে দিন, যেমনটা এখন আছি।’ যদিও কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, সারা দিন পর বাড়ি ফিরে যখন গোটা বাড়ি খালি দেখেন, তখন খুব একাকী লাগে তাঁর। কেউ ঘরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে না—এই বোধও তাঁকে কষ্ট দেয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া
320,748
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
opinion
মতামত
৩০ জুন ২০১৫, ০০:৩৬
৩০ জুন ২০১৫, ০০:৩৮
ধর্ম,ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান,মতামত,লেখকের কলাম
null
মাহে রমজানে যাবুর অবতরণ
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/565507
রমজান মাসের ১২ তারিখে আল্লাহর নবী হজরত দাউদ (আ.)-এর কাছে আসমানি কিতাব ‘যাবুর’ নাজিল করা হয়। তাঁর গোত্রের মাতৃভাষা ছিল ইউনানি, তাই ‘যাবুর’ ইউনানি বা আরামাইক ভাষায় অবতীর্ণ হয়। নবী-রাসুলদের কাছে মাতৃভাষায় ওহি নাজিল না করা হলে এগুলো অবতরণের উদ্দেশ্য ব্যাহত হতো। কেননা, এসব আসমানি কিতাব অবতরণের মূল উদ্দেশ্য মানুষের হেদায়াতপ্রাপ্তি ও পুণ্য অর্জনের জন্য এর সঠিক মর্ম অনুধাবন করা এবং ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ঐশীগ্রন্থের আলোকে জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমার কাছে ওহি প্রেরণ করেছি, যেমন নূহ ও তার পরবর্তী নবীদের কাছে প্রেরণ করেছিলাম; ইব্রাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাঁর বংশধরগণ; ঈসা, আইউব, ইউনুস, হারুন ও সোলায়মানের কাছে ওহি প্রেরণ করেছিলাম এবং দাউদকে যাবুর দিয়েছিলাম।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৬৩) অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি তো নবীদের কতককে কতকের ওপর মর্যাদা দিয়েছি এবং দাউদকে যাবুর দিয়েছি।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৫৫)হজরত দাউদ (আ.)-এর ঊর্ধ্বতন একাদশ পুরুষ হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর দুজন স্ত্রী ছিলেন। বিবি হাজেরার গর্ভজাত সন্তান হজরত ইসমাইল (আ.)-এর বংশধারায় পৃথিবীতে শুভাগমন করেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) [৫৭০-৬৩২ খ্রি.]; আর বিবি সারার গর্ভের সন্তান হজরত ইসহাক (আ.)-এর বংশধারায় হজরত দাউদ (আ.) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জালুত নামক অত্যাচারী রাজাকে ভীষণ যুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করে এক বিশাল রাজত্ব লাভ করেন, যাঁর রাজধানী ছিল জেরুজালেম। এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘দাউদ জালুতকে সংহার করল, আল্লাহ তাকে কর্তৃত্ব এবং হিকমত দান করলেন এবং যা তিনি ইচ্ছা করলেন তা তাকে শিক্ষা দিলেন।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫১) অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘স্মরণ করো, আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদের কথা, সে ছিল অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।’ (সূরা সোয়াদ, আয়াত: ১৭)হজরত দাউদ (আ.) নানাবিধ মানবিক গুণে ভূষিত ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে সুমধুর কণ্ঠস্বর দান করেছিলেন যে সুললিত ভাষায় তিনি ‘যাবুর’ তিলাওয়াত করতেন। তাঁর পাঠ শুনে বনের পক্ষিকুল নেমে আসত এবং মনোযোগসহকারে তা শুনত। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘আমি তার রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্মিতা।’ (সূরা সোয়াদ, আয়াত: ২০) অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি অবশ্যই দাউদ ও সোলায়মানকে জ্ঞান দান করেছিলাম। তারা বলেছিল, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের তাঁর বহু মুমিন বান্দাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।’ (সূরা আন-নামল, আয়াত: ১৫)আল্লাহ তাআলা হজরত দাউদ (আ.)-কে অনেক মুজিজা বা অলৌকিক ক্ষমতা দান করেছিলেন। তিনি লোহা দিয়ে সুন্দর সুন্দর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বানাতেন। হজরত দাউদ (আ.)-এর পুত্র হজরত সোলায়মান (আ.) পিতার রাজত্ব আরও সুবিস্তৃত ও সমৃদ্ধশীল করে তুলেছিলেন। হজরত দাউদ (আ.) বায়তুল মোকাদ্দাসে তাঁর আমলের রাজধানী স্থাপন করেন এবং একটি বিশাল ইবাদতখানা নির্মাণে হাত দেন, যা হজরত সোলায়মান (আ.) কর্তৃক জিনদের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। এভাবে বায়তুল মোকাদ্দাসের পবিত্রতার মর্যাদা বাস্তবরূপ লাভ করে। এরপর হজরত ঈসা (আ.)-এর সময় থেকে তাঁর অনুসারীদের স্বাক্ষর এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির পর থেকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য হতে থাকে। কোরআন মজিদে বায়তুল মোকাদ্দাসকে পবিত্র ভূমি বলে উল্লে­খ করা বলা হয়েছে, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি নির্দিষ্ট করেছেন, তাতে তোমরা প্রবেশ করো এবং পশ্চাদপসরণ কোরো না, তাহলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ২১)হজরত দাউদ (আ.) ছিলেন অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। তিনি ছিলেন সুশাসক ও সুবিচারক। জনগণ সব সময় তাঁর কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেত। তাঁর বিচারব্যবস্থা ছিল নিখুঁত ও নিরপেক্ষ। তিনি রাজকোষ থেকে কোনো অর্থসম্পদ গ্রহণ করতেন না। তিনি যেমন ছিলেন ন্যায়পরায়ণ ও মানবদরদি, তেমনি ছিলেন কঠোর পরিশ্রমী। তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং নিজের হাতে লৌহবর্ম তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি আল্লাহর কুদরতে লোহাকে নরম করে এর দ্বারা ইস্পাতের জেরা বা বর্ম তৈরি ও তা বাজারে বিক্রি করে যা আয় করতেন, তা দিয়ে সংসার চালাতেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি নিশ্চয়ই দাউদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম এবং আদেশ করেছিলাম, ‘হে পর্বতমালা! তোমরা দাউদের সঙ্গে আমার পবিত্রতা ঘোষণা করো এবং বিহঙ্গকুলকেও, তার জন্য নমনীয় করে দিয়েছিলাম লৌহ; যাতে তুমি পূর্ণ মাপের বর্ম তৈরি করতে পারো এবং বুননে পরিমাণ রক্ষা করতে পারো।’ (সূরা সাবা, আয়াত: ১০-১১)নবী করিম (সা.) শ্রমের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে হজরত দাউদ (আ.)-এর স্বহস্তে উপার্জনের বিষয়টি উল্লেখ করে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন, ‘নিজের হাতের কাজ ও শ্রম দ্বারা উপার্জিত খাদ্য খাওয়া অপেক্ষা উত্তম খাদ্য কেউ খেতে পারে না। হজরত দাউদ (আ.) নিজের হাতের শ্রমের উপার্জিত খাবার খেতেন।’ (বুখারি) হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে ‘হজরত দাউদ (আ.) বর্ম তৈরি করতেন, হজরত আদম (আ.) কৃষিকাজ করতেন, হজরত নূহ (আ.) কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন, হজরত ইদ্রিস (আ.) সেলাইয়ের কাজ করতেন এবং হজরত মূসা (আ.) রাখালের কাজ করতেন।’ (মুসতাদরাকে হাকিম)আসমানি কিতাব ‘যাবুর’প্রাপ্ত আল্লাহর নবী হজরত দাউদ (আ.)-এর যুগেও রোজার প্রচলন ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হজরত দাউদ (আ.)-এর রোজা। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন বিনা রোজায় থাকতেন।’ (বুখারি ও মুসলিম) অর্থাৎ হজরত দাউদ (আ.) অর্ধেক বছর রোজা রাখতেন এবং অর্ধেক বছর বিনা রোজা থাকতেন, তিনি এক দিন অন্তর অন্তর সিয়াম পালন করতেন।ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক, গবেষক ও কলাম লেখক।dr.munimkhan@yahoo.com
149,223
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৫:০১
১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৬:২৬
নেইমার,ফুটবল
null
নেইমারের দর ৩০০ মিলিয়ন, রিয়ালকে আশা দিচ্ছে উয়েফাও
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1554159
রিয়াল মাদ্রিদ এখনো নেইমারের পিছু ছাড়েনি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শূন্যতা পূরণে এখনো নেইমারকেই দলে ভেড়াতে চায় ক্লাবটি। তবে গোটা ব্যাপারটি একধরনের ‘যদি-কিন্তু’র ওপর নির্ভর করছেক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জনটা উঠেছিল। এত বড় তারকার শূন্যস্থান কোন তারকাকে দিয়ে পূরণ করবে রিয়াল মাদ্রিদ? নেইমারের নাম উচ্চারিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মাঝপথে এই ব্রাজিলিয়ানকে ঘিরে গুঞ্জনটা থেমে গেলেও রিয়াল কিন্তু দলবদলের বাজারে বড় কোনো তারকা কেনেনি। উয়েফা সুপার কাপে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে রিয়ালের বড় হারের পর সমর্থকদের মধ্যে বড় তারকা কেনার দাবি জোরালো হয়ে। এমন পরিস্থিতিতে আবারও ফিরে এল নেইমার প্রসঙ্গ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, রিয়াল নাকি নেইমারকে কিনতে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতেও রাজি!স্প্যানিশ ফুটবলে দলবদলের বাজার শেষ হতে দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। কিন্তু রোনালদোর শূন্যস্থান পূরণে রিয়াল এখনো কোনো সমাধান বের করতে পারেনি। ‘স্পোর্ত’ জানিয়েছে, রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর তাই অবিশ্বাস্য অঙ্কটা (৩০০ মিলিয়ন ইউরো) খরচ করেই নেইমারকে কিনতে চান তিনি। পিএসজির নেইমারকে বেচার কোনো আগ্রহ নেই। টাকা দিয়ে আরব শেখদের ক্লাবটিকে গলানো যাবেও না। রিয়ালের একমাত্র আশা, উয়েফা যদি পিএসজিকে শাস্তি দেয়। তবেই...।পিএসজির আয়-ব্যয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে উয়েফা। ফ্রান্সের ক্লাবটির দেখানো স্পনসর চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা। উয়েফার মনে হয়েছে, অন্য ক্লাবগুলোর স্পনসর চুক্তির তুলনায় পিএসজির স্পনসর চুক্তির বাজার দর দ্বিগুণ, কিছু ক্ষেত্রে তিন গুণ। যেটি আপাতদৃষ্টিতে অস্বাভাবিক। এ ছাড়া কাতারি ব্যাংকের কাছ থেকে তারা যে অর্থ পেয়েছে, সেটিও পুনর্মূল্যায়ন করছে উয়েফা। সংস্থাটির ধারণা, স্পনসর চুক্তিতে গোপন কোনো অংশ ব্যাংক হিসাবে আছে।এসব নিয়ে উয়েফার আপিল কমিটি রায় দেবে এ মাসের শেষ নাগাদ। পিএসজি মনে করছে তারা কোনো আইন লঙ্ঘন করেনি। তবে যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারেও ক্লাবটি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। পেরেজ ঠিক এই নিষেধাজ্ঞার সুযোগটাই নিতে চান বলে জানিয়েছে ‘স্পোর্ত’। উয়েফা পিএসজির বিপক্ষে রায় দিলেই পেরেজ ৩০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে নেইমারকে কিনে নেবেন বলে জানিয়েছে এই স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। এবারের দলবদলের বাজারে রিয়ালের এখনো কোনো ‘সুপারস্টার’ না কেনার এটাও একটা কারণ। রিয়াল বাজেট ধরে রাখতে চায়। যদি শেষ মুহূর্তে হলেও নেইমারকে পাওয়া যায়।
374,044
-1
sports
খেলা
১৩ জুলাই ২০১৬, ০১:৫২
১৩ জুলাই ২০১৬, ০২:০৬
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
বেতনে মেসি–রোনালদোদের টক্কর দিচ্ছেন এঁরাও!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/912736
‘মেড ইন চায়না।’ গেল কোপা আমেরিকায় এজেকিয়েল লাভেজ্জির দুর্দান্ত ফুটবল দেখার পর ভার্চুয়াল জগতে এমনই ছিল রসিকতা। কারও কারও আক্ষেপ, এই লাভেজ্জি কিনা খেলতে গেলেন চীনের ফুটবলে! কারও প্রশ্ন, ‘কেন?’সবকিছুরই উত্তর মিলছে। চীনের ঘরোয়া ফুটবলকে নিয়ে নাক সিঁটকানোর সময় ফুরিয়ে আসবে কি না সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত যেভাবে টাকা ছড়ানো হচ্ছে, তাতে আরও বড় বড় তারকা চীনে পাড়ি জমাবেন শিগগিরই। চমকে উঠতে পারেন এই তথ্যে, এখনকার ফুটবলের সবচেয়ে বেশি বেতনের শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের চারজনই এখন খেলেন চীনা ফুটবল লিগে! ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির পর সবচেয়ে বেশি বেতন পান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হাল্ক!হাল্ক সপ্তাহ খানেক আগে রাশিয়ার ক্লাব জেনিত থেকে পাড়ি জমিয়েছেন চীনের ক্লাব সাংহাই এসআইপিজিতে। সাংহাই সে জন্য কত খরচ করেছে জানেন? ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো! আর হাল্ক নিজে বছরে বেতন পাবেন ২ কোটি ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৭৪ কোটি টাকা। যার অর্থ, হাল্কের মাসিক বেতন প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা! মেসি এর কাছাকাছিই পান, এই দুজনের চেয়ে বেশি বেতন শুধুই রোনালদোর! হাল্কের কিছুটা নামডাক আছে, তাই বলে মেসির কাছাকাছি বেতন!চমক কিছু জমিয়ে রাখুন। কারণ, ইতালিয়ান স্ট্রাইকার গ্রাজিয়ানো পেল্লেকে শেনডন লুনেং বার্ষিক ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বেতন দিয়ে টেনে নিয়েছে চীনে। ওয়েইন রুনি বেতন পান ১ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড! লাভেজ্জি কেন এবার পিএসজি ছেড়ে চায়না ফরচুনে নাম লিখিয়েছেন বুঝেছেন তো? না বুঝলে শুনুন। সেখানে বছরে তাঁর বেতন ১ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। ওপরে যে তিনজনের চোখ মাথার চাঁদিতে তুলে দেওয়া বেতনের হদিস পেলেন, এঁরা ছাড়া শীর্ষ চারের অন্যজন জ্যাকসন মার্টিনেজ। তিনি পান ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো। ফুটবল বিশ্বে তাঁর চেয়ে বেশি বেতন পান মাত্র আটজন ফুটবলার!নিকট ভবিষ্যতে অনেক উঠতি আর বর্তমান তারকা সগৌরবে বলতে পারেন, ‘আমরাও মেড ইন চায়না।’
239,551
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
২৮ মে ২০১৫, ০১:৪৩
২৮ মে ২০১৫, ০১:৪৬
বিনোদন,চলচ্চিত্র
null
নতুন ছবিতে চারজন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/539251
নতুন ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অভিনেতা ফেরদৌস, মিলন, নিপুণ ও সিমলা। ছবির নাম থ্রি ইললিগ্যাল। ছবিটি পরিচালনা করছেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। এই চারজন ছাড়াও অভিনয় করবেন চম্পা, শহীদুল আলম সাচ্চু, নবাগত ববি ও বিদেশি কয়েকজন অভিনয়শিল্পী।লন্ডন থেকে ছবিটির পরিচালক বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পীদের চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছবিটি বাংলাদেশিদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে নির্মিত হবে। অবৈধভাবে বিদেশে এসে কতটা নির্মমতার শিকার হন তাঁরা, তা–ই দেখানো হবে।আনিসুর রহমান মিলন বলেন, ‘ছবির গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে। ঈদের পরেই পুরোদমে কাজ শুরুর পরিকল্পনা করেছি আমরা সবাই। এর মধ্যে ভিসা প্রাপ্তিসহ বেশ কিছু আনুষঙ্গিক কাজ রয়েছে। শেষ হলেই শুটিংয়ের জন্য উড়াল দেব।’সিমলা জানান, মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে ছবিটি নির্মিত হচ্ছে।এরই মধ্যে ছবিটির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে বাংলাদেশে। বাকি অংশের শুটিং হবে ইংল্যান্ডে এ বছরের শেষ দিকে। পরিচালক জানান, আন্তর্জাতিকভাবে ছবিটির মুক্তির পরিকল্পনা করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ভালোবাসা দিবসেই দেখা যাবে থ্রি ইললিগ্যাল।নাটোরের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাপ্পী কয়েক বছর ধরেই লন্ডনে থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। এর আগে টিভি সিরিয়াল ও শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন। থ্রি ইললিগ্যাল তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
142,659
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মার্চ ২০১৪, ০২:৩১
০৬ মার্চ ২০১৪, ০২:৩২
বিশাল বাংলা,পঞ্চগড়
0
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বিজিবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/162220
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের জন্য ৩৫টি দোকানঘর নতুন করে নির্মাণ করে দিয়েছেন পঞ্চগড় ১৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) সদস্যরা। গত এক সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে ব্যবসায়ীদের নতুন দোকানগুলো বুঝিয়ে দেয় বিজিবি।ওই সব দোকানে ইতিমধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন করে শুরু করেছেন জীবনসংগ্রাম। এ জন্য বিজিবিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিন্দু ব্যবসায়ীরা।প্রধানপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী প্রশান্ত শর্মা (৩৫) জানান, ৬ জানুয়ারি বিকেলে নির্বাচনবিরোধীরা তাঁর সেলুনের দোকান ভাঙচুর করে লন্ডভন্ড করে দেয়। এর পর থেকে তাঁর জীবিকা অর্জনের একমাত্র অবলম্বন শেষ হয়ে যায়। বিজিবির সদস্যরা তাঁর দোকান নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও দিয়েছেন। এখন তিনি নতুন করে বাঁচার অবলম্বন পেয়েছেন।পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল হক বলেন, বিজিবির মহাপরিচালককে সোনাহার ইউনিয়নের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের দুর্দশার বিষয়টি জানানো হয়। এরপর তাঁরা সদর দপ্তরের সহযোগিতায় ওই দুটি বাজারের ৩৫টি দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণ করে দেন।
56,165
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৫৮
২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৫৯
খেলা
0
টানা তৃতীয় জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1026337
টানা দুই জয়ে হংকংয়ে দারুণ ফুরফুরে মেজাজে আছেন বাংলাদেশ হকি দলের খেলোয়াড়েরা। এএইচএফ (এশিয়ান হকি ফেডারেশন) কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল ম্যাকাও। তবে প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও আজকের ম্যাচটিকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। কাল হংকং থেকে ফেসবুকে জিমি জানালেন, ‘টুর্নামেন্টের কোনো দলকেই খাটো করে দেখতে চাই না আমরা। গত দুটি ম্যাচের মতো এই ম্যাচও জিততেই মাঠে নামব।’গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ও পরের ম্যাচে চীনা তাইপেকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে। আজ বাংলাদেশ ড্র করলেও গ্রুপ-সেরা হয়েই সেমিফাইনালে খেলবে। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা হংকংয়ের প্রতিপক্ষ চীনা তাইপে। টানা দুই ম্যাচ হেরে এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে ম্যাকাও। প্রথম ম্যাচে চীনা তাইপের কাছে ২-০ গোলে হার, পরের ম্যাচে হংকংয়ের সঙ্গে ম্যাকাওয়ের পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ৫-১।
267,837
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০৮
১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০৯
মহানগর
0
নবীনবরণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/741784
ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি সিলেটের নতুন শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান গতকাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিন ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক গৌর মনি সিংহ, সিলেটের সিভিল সার্জন মো. হাবিবুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফার্মেসি বিভাগের মাহবুব আলম ও ডেন্টাল বিভাগের অন্তরা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
193,221
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ মার্চ ২০১৫, ০১:৪৮
২৩ মার্চ ২০১৫, ০২:৪৯
মঠবাড়িয়া,পিরোজপুর,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
গয়না ও টাকা লুট
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/484288
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে এক পরিবারের দুই সদস্যকে অচেতন করে পাঁচ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে চোরেরা। গত শনিবার উপজেলার বুখাইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে খাবার খেয়ে মজিবর রহমান (৬০) ও তাঁর ছেলে আরিফুর রহমান (১৯) ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে প্রতিবেশীরা অচেতন অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো একসময় চোরেরা বাবা ও ছেলের খাবারে চেতনানাশক পদার্থ মিশিয়ে দেয়। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
125,311
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ আগস্ট ২০১৬, ০১:৪৮
১১ আগস্ট ২০১৬, ০১:৫০
লালমনিরহাট,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
হাতীবান্ধায় তিস্তার ভাঙন অব্যাহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/942604
লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই কম-বেশি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় দেড় হাজার পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যরা রাস্তার ধারে ও খোলা মাঠে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।সবচেয়ে বেশি ভাঙনের শিকার হয়েছে উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ছয় ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হচ্ছে উপজেলার নিজ শেখ সুন্দর, পার শেখ সুন্দর, ঠেংঝড়া, বাঘের চর, ছয়আনী, পিত্তিফাটা, চর গড্ডিমারী, চর ধুবনী, চর সিন্দুর্ণা, উত্তর হলদিবাড়ি, দক্ষিণ হলদিবাড়ি, উত্তর ডাউয়াবাড়ি ও চর নোহালী।সম্প্রতি উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের তিস্তা গাইড বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দুধারে নদীভাঙনের শিকার অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া নিজ শেখ সুন্দর গ্রামের কৃষক আছির উদ্দিন (৬০) বলেন, প্রায় ৫০ বিঘা জমির মালিক ছিলেন তিনি। তিস্তার ভাঙনে শুধু বাড়িঘর নয়, সব জমিও নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁধে এসে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি।কৃষক নুর ইসলাম (৪৫) বলেন, ‘আমার প্রায় ২০ বিঘা জমি ছিল। কিন্তু তিস্তা এখন পথে বসিয়েছে। সরকারিভাবে শুকনা খাবার আর দুদফায় ২০ কেজি করে চাল পেয়েছি। কিন্তু এসব ত্রাণ দিয়ে কদিনই বা চলবে?’ তারা নদীর ভাঙন রোধে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৯৩২ পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। ভাঙনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ইতিমধ্যে নগদ ২৬ লাখ টাকা ও ২৫০ বান্ডিল টিন বিতরণ করা হয়েছে।এ ছাড়া সম্প্রতি ত্রাণমন্ত্রী লালমনিরহাট সফরে এসে আরও ৯ লাখ টাকা ও ৩০০ বান্ডিল টিন বরাদ্দ করেছেন।
248,723
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ মার্চ ২০১৪, ০০:৫৫
০৮ মার্চ ২০১৪, ০২:২৭
রাজধানী (জাতীয়)
0
রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা পেলেন ছয় কৃতী নারী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/163477
দেশে এমন দিন আসুক, যখন আলাদা করে নারী দিবস পালন করতে হবে না। প্রতিটি দিন হবে নারী-পুরুষ-প্রতিবন্ধী সবার জন্য সমান। সবাই মানুষ হিসেবে সম্মান পাবে। লৈঙ্গিক পরিচয় কারও এগিয়ে চলার পক্ষে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।গতকাল শুক্রবার রাজধানীর এক হোটেলে রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ প্রত্যাশার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ২০১২ ও ২০১৩ সালের জন্য ছয় কীর্তিমতী নারীকে স্কয়ার কনজুমার প্রডাক্টস লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।সাংবাদিকতার জন্য ২০১২ সালে চট্টগ্রামের হাজেরা শিউলী ও ২০১৩ সালের জন্য কুমিল্লার ইয়াসমিন রিমা পুরস্কার পেয়েছেন। হরিজন সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য রংপুরের ইরা হক ও প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে অবদান রাখায় কিশোরগঞ্জের ফরমোজা মোমতাজ পেয়েছেন কীর্তিমতী হিতৈষী ২০১২ ও ২০১৩ পুরস্কার। ২০১২ ও ২০১৩ সালের জন্য কীর্তিমতী উদ্যোক্তা পুরস্কার পেয়েছেন কুমিল্লার পাপড়ি বসু ও ময়মনসিংহের তাহমিনা খানম।কীর্তিমতীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন এ্যারোমা দত্ত, ডেইলি স্টার পত্রিকার আর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট পাতার সম্পাদক সাদিয়া আফরিন মল্লিক, দেশ গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান রোকেয়া কাদের।অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্কয়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান রত্না পাত্র। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বেসরকারি সংস্থা প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক এ্যারোমা দত্ত।
56,757
কলকাতা প্রতিনিধি
international
আন্তর্জাতিক
০১ আগস্ট ২০১৪, ১০:৪৯
০১ আগস্ট ২০১৪, ১৩:৫৪
ভারত
null
মধ্যপ্রদেশে ৫ হাজার বাংলাদেশির পুনর্বাসন
http://www.prothom-alo.com/international/article/280357
ভারতের মধ্যপ্রদেশে সাড়ে পাঁচ হাজার বাংলাদেশি উদ্বাস্তুর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী প্রচারে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে তিনি বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। মধ্যপ্রদেশ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং।
81,656
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৮
২৭ মার্চ ২০১৯, ১৬:১২
স্বাধীনতা দিবস,সড়ক দুর্ঘটনা,কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপমৃত্যু
null
‘এত দুর্ঘটনা, কোনো বিচার তো অয় না’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1585467
‘এত দুর্ঘটনা, কোনো বিচার তো অয় না। হয়তো ক্ষতিপূরণ দেবে, শোক হবে, মেয়েকে তো আর দেখব না।’ এ আহাজারি রিয়া রানী সাহার মা জয়ন্তী রানী সাহার। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাড়িতে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে বিলাপ করছিলেন তিনি।রিয়া (১৫) এ এলাকার দীপু রঞ্জন সাহার মেয়ে। তিনিও শোকে পাথর হয়ে বসে আছেন। ফ্যালফ্যাল চেখে এদিক-ওদিক তাকিয়ে আছেন।রিয়া রানী সাহা বিজয়পুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গতকাল সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সেসহ ২৭ জন ছাত্রী লেগুনায় করে উপজেলা পরিষদের মাঠে কুচকাওয়াজে যাচ্ছিল। লেগুনাটি সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা ফটকের সামনে লরির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রিয়া নিহত হয়। আহত হয়েছে আরও ৯ জন।রিয়ার বাড়ি বিজয়পুর বাজারের পূর্ব পাশে, বারপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। বাবা দীপু রঞ্জন বিজয়পুর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা যায়, রিয়ার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। বিলাপ করে করে রিয়ার কথা বলছেন মা জয়ন্তী রানী। তিনি বলেন, ‘ঝি (মেয়ে) স্কুল থেকে আসতে দেরি হলে ডায়েরি থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে স্যারদের ফোন দিতাম। এখন আমি কার জন্য ফোন দেব? ওর স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে ব্যাংকে চাকরি করবে। এ জন্য কমার্সে গেছে। ও প্রায়ই বলত, “২৪ বছরের আগে আমারে বিয়া দিবা না। তাহলে কিন্তু আমি নিজেকে শেষ করে দেব। আমি মরে যাব।” এমন সোহাগী মেয়েটা নেই। এটা কেমন করে ভুলব?’বড় চাচি ও চাচাতো ভাইবোনেরা রিয়াকে স্নেহ করতেন। তাঁরা জানান, ভোরে ঘুম থেকে উঠে রিয়া চাচিকে বলে, ‘আমি আসি। এরপর এসেছে লাশ হয়ে।’রিয়ার চাচাতো ভাই বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) প্রাক্তন শিক্ষার্থী রনি কুমার সাহা বলেন, ‘সান্ত্বনাতেই কী সব শেষ? আমি আদরের বোন রিয়া হত্যার বিচার চাই। এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটা আমাদের সড়কের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনারই চিত্র।’
395,489
প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৪০
০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:১৮
রাজনীতি,মানিকগঞ্জ,একাদশ সংসদ নির্বাচন,বিএনপি,আওয়ামী লীগ,জাতীয় পার্টি
0
বিএনপির তিনজনের দুজনই নতুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1567918
মানিকগঞ্জ-১ আসনে দলের তিনজনকে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তাঁদের মধ্যে দুজনই নতুন মুখ।মনোনয়ন পাওয়া তিনজন হলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির, দলের প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সহসভাপতি খোন্দকার আবদুল হামিদ ও দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হক। তাঁদের মধ্যে জিন্নাহ কবির ও আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তোজাম্মেল হক হেরে যান।শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর—এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫৮৭। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৯৬ জন এবং পুরুষ ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১ জন। এই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে আটজন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।গত বুধবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন জিন্নাহ কবির। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সচেষ্ট ছিলেন। দল তাঁকেই মূল্যায়ন করবে বলে তিনি আশাবাদী।খোন্দকার আবদুল হামিদ এই আসনে নির্বাচন করতে প্রথমবারের মতো মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত বুধবার তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।আবদুল হামিদ বলেন, বাবা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সংস্পর্শে ছাত্ররাজনীতিতে আসেন তিনি। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি দলের জন্য কাজ করেছেন। দল তাঁকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে বলে তাঁর দাবি।২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে তোজাম্মেল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হন।
384,546
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০২ জুলাই ২০১৫, ০২:২৮
০২ জুলাই ২০১৫, ০২:২৯
খেলা,দেশের ফুটবল
null
যুব ফুটবল নিয়ে নতুন ভাবনা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/567769
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে বাংলাদেশের গ্রুপের খেলা কলম্বোয় হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৮ সেপ্টম্বর থেকে ৬ অক্টোবর। কিন্তু নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় আয়োজনটা করতে পারবে না বলে অপারগতা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাই শুরু হয়েছে নতুন ভেন্যু খোঁজা।গ্রুপের অন্যতম দল পাকিস্তানে খেলা আয়োজনে আগ্রহী নয় এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এএফসি)। বাকি থাকে উজবেকিস্তান, ভুটান ও বাংলাদেশ। এই তিন দেশ স্বাগতিক হতে চাইলে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে এএফসির কাছে আয়োজন করতে হবে। বাফুফে পড়েছে সংশয়ে। ঘরের মাঠে খেললে অন্তত গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বেই। অন্যদিকে খেলা আয়োজনে আর্থিক দিকটাও ভাবনার বিষয়। সব দিক সামলে ঘরে খেলার সুযোগটা বাফুফে নেবে কি না, সে সিদ্ধান্ত দু-এক দিনের মধ্যেই।
149,604
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:০২
২৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৩
বিশাল বাংলা
0
শচীন্দ্র কলেজ সরকারি করার দাবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/614854
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার শচীন্দ্র ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শচীন্দ্র কলেজের সামনে হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শচীন্দ্র লাল সরকার, কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির দাতাসদস্য শরীফ উল্লাহ, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।শচীন্দ্র লাল সরকার বলেন, জাতীয়করণের যতটুকু যোগ্যতা বা পরিবেশ থাকা প্রয়োজন, তার সবটুকুই আছে শচীন্দ্র ডিগ্রি কলেজের। এ ছাড়া কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর এইচএসসি ও স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় ভালো ফল করে আসছেন। জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই কলেজ শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে থাকলেও সরকারীকরণ না হওয়ায় অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।বানিয়াচং উপজেলায় ১৯৯৮ সালে শচীন্দ্র কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। হবিগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী শচীন্দ্র লাল সরকার ১০ একর জায়গার ওপর এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই কলেজে ২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী আছেন। ২০১৩ সাল থেকে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়েছে কলেজটিতে।
163,823
অনলাইন ডেস্ক
life-style
জীবনযাপন
২৫ জুলাই ২০১৭, ১২:০৯
২৫ জুলাই ২০১৭, ১২:৫০
সম্পর্ক,পরামর্শ
0
দাম্পত্যে সুখ চাইলে...
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1264916
দাম্পত্য। কী যেন অদ্ভুত মায়ায় জড়িয়ে থাকা একটা সম্পর্কের নাম। টক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্কটা আনন্দ-বেদনায় ভরা। তবে কখনো কখনো দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে শীতলতা। এ থেকে জন্ম নেয় তিক্ততা। কখনো কখনো সেটা ভাঙনে গিয়ে ঠেকে। অথচ একটু চেষ্টা করলেই আমৃত্যু দাম্পত্য সম্পর্কটাকে রাখা যায় সজীব, সতেজ আর ভালোবাসায় মুড়ানো। সুখী দাম্পত্যের জন্য কী প্রয়োজন, তা জানাচ্ছে ব্রাইট সাইড।*জীবনের প্রতি ইতিবাচক থাকুন। কারণ, সবাই চায় তার আশপাশে উৎফুল্ল আর প্রাণবন্ত মানুষেরা থাকুক। আর সেসব মানুষের আনন্দের ঢেউ আছড়ে পড়ুক তার জীবনেও। তাই অসন্তুষ্টি প্রকাশ, অভিযোগ করা ও খ্যাঁচ খ্যাঁচ করা থেকে বিরত থাকুন। হাসি-খুশি আর প্রাণবন্ত থাকুন। দেখবেন, দাম্পত্য সম্পর্কে আসছে ইতিবাচক পরিবর্তন।*জ্ঞানীরা বলেন, নিজেকে জানো। নিজেকে জানা কিন্তু নিজেকে ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। আপনার কী করতে ভালো লাগে, সেটা করুন। হতে পারে বাগান করা, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা কিংবা পড়াশোনা করা—যা ভালো লাগে, করুন। এতে আপনি ভালো থাকবেন, যার প্রভাব পড়বে দাম্পত্য জীবনে। কখনোই ভাববেন না, আপনি শুধু নিজের মতো থাকবেন আর আপনার সঙ্গী আপনার জন্য সব সময় ত্যাগ স্বীকার করে যাবেন। বরং, দুজনই নিজেদের পছন্দের কিছু করে উৎফুল্ল থাকুন আর দাম্পত্যকে রাঙিয়ে তুলুন।*নিজেকে ভালোবাসার অর্থ কিন্তু এই নয় যে সঙ্গীর চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব না দেওয়া। মনে রাখবেন, স্বামী-স্ত্রী দুজন মানুষ দুটি ভিন্ন পরিবেশ থেকে ওঠে আসেন। চাওয়ায় থাকে ভিন্নতা। একজন আরেকজনের মতো হবেন—এটা কখনোই ভাবা উচিত না। দুজনের কাছেই হয়তো দুজনের কিছু জিনিস ভালো লাগে, আবার কিছু জিনিস ভালো লাগে না। সঙ্গীর চাওয়া নিয়ে পরস্পর কথা বলুন, আলোচনা করুন। দেখবেন, ঠিক একটা সমাধান বের হয়ে এসেছে।*সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখুন। সঙ্গীর ভালো কাজের প্রশংসা করুন, খারাপটা শুধরে নিতে সহায়তা করুন। একসঙ্গে থাকতে গিয়ে ভালো-খারাপ অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয় দম্পতিদের। ভালোগুলোর কথা স্মরণ করে সঙ্গীর প্রতি অকপটে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।*দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরানোর জন্য তিক্ত কথা একাই যথেষ্ট। তাই শব্দচয়নে সচেতন হোন। এমন কিছু বলবেন না যা সঙ্গীকে ছোট করে, আহত করে কিংবা তার মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। আর মিথ্যা বলা উচিত না। একটা মিথ্যা ঢাকতে আরও দশটা মিথ্যা বলতে হয়। আর সত্যটা যেদিন প্রকাশ পায়, সেদিন সঙ্গীর প্রতি আস্থা আর বিশ্বাস হারিয়ে যায়। আস্থা-বিশ্বাসহীন দাম্পত্য জীবনে তখন আর টেনে নেওয়া যায় না।*একসঙ্গে সুখের স্মৃতি তৈরি করুন। আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে খুব বেশি সময় কাটানো সম্ভব হয় না। যতটুকু সময় পান, সেটা ভালোভাবে কাটান। একসঙ্গে বাইরে খেতে যান, কোনো অনুষ্ঠান দেখতে যান, ঘুরতে যান কিংবা আনন্দ পান এমন কিছু করুন। এগুলোই একদিন সুখের স্মৃতি হিসেবে আপনাদের মন ভালো করে দেবে। এ ছাড়া আরও কিছু কাজ করতে পারেন; যেমন-ছবি তোলা, একসঙ্গে ঘর সাজানোর জন্য কিছু একটা কেনা। পরে সেই ছবি দেখলে ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে যেতে পারবেন অতীতের সুখের দিনে।*জীবনটা তো মোটামুটি একটা বাধাধরা নিয়মের মধ্যে পার করতে হয়। তাই একগুঁয়েমি চলে আসতে পারে দাম্পত্য জীবনে। এ থেকে মুক্তি পেতে পরস্পরকে চমকে দিতে পারেন। সেটার জন্য খুব বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে, এমন নয়। সঙ্গী পছন্দ করে, এমন কিছু একটা উপহার দিতে পারেন। কিংবা কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে সঙ্গীর পছন্দের খাবারটা কিনে আনতে পারেন। এতে সঙ্গীও খুশি হলো। আবার রান্নার যে সময়টুকু বাঁচল, দুজন মিলে সুন্দর কোনো ছবি দেখে, গান শুনে বা টিভিতে কোনো অনুষ্ঠান দেখে কাটিয়ে দিতে পারেন।
328,504
আহমেদ জায়িফ, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ মে ২০১৯, ১১:০৭
২২ মে ২০১৯, ১২:০৯
অপরাধ,আইন ও বিচার,আইনশৃঙ্খলা,আদালত,ঢাকা বিভাগ,জঙ্গিবাদ,বনানী,ঢাকা
null
তিন বছর নিখোঁজের পর হঠাৎ আদালতে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1595072
২০১৬ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইয়াসিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদকে (৩৭)। এ ঘটনায় তাঁর মা চিকিৎসক সুরাইয়া পারভীন বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর কোনো সন্ধান করতে পারেনি।প্রায় তিন বছর পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, ইয়াসিন সামাদকে ১৭ মে বনানীর গাউসুল আযম মসজিদের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুসলিমিনের প্রতিষ্ঠাতার ‘প্রত্যক্ষ মদদদাতা’।ইয়াসিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদকে গত শুক্রবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় ডিএমপি। গুলশান থানায় ২০১৩ সালে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ মে থেকে নিখোঁজ তেহজীব করিমকেও (৩৪) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালত রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মে তারিখ নির্ধারণ করেছেন।রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসে ইয়াসিনদের নিজেদের বাড়ি। বাবা নেই, তিনি চিকিৎসক ছিলেন। মা সুরাইয়া পারভীন তালুকদারও চিকিৎসক। ছেলেকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে ওই দিনই তিনি ভাষানটেক থানায় যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তাতে বলেন, ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই বনানী রেলস্টেশনের কাছ থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রেলস্টেশনের এক টিকিট বিক্রেতা তাঁদের জানান, সাধারণ পোশাক পরা লোকজন তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে।ইয়াসিনের পরিবারের অভিযোগ, ইয়াসিন নিখোঁজ হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে যান। এ নিয়ে ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর প্রথম আলোতে ‘চার মাস ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। হাজী আলম নামে যে ব্যক্তি ইয়াসিনের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন, প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।ইয়াসিনের মা সুরাইয়া পারভীন তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তিনি শুনেছেন, তাঁর ছেলেকে জঙ্গিবাদে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলে ধর্মপ্রাণ, তবে জঙ্গিবাদের মতো হিংস্র কোনো কাজে যুক্ত নন।গত শুক্রবার আদালতে দেওয়া রিমান্ড আবেদনে ডিবির গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলম বলেছেন, ইয়াসিন ও তেহজীবের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশের প্রথম আল–কায়েদার মতাদর্শী জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুসলিমিন প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় ১৭টি দেশে জঙ্গি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তেহজীব জামাতুল মুসলিমিনের (জেএম) সক্রিয় সদস্য। তিনি লেকহেড গ্রামার স্কুলের সাবেক শিক্ষক। ২০১০ সালে তিনি ইয়েমেনের জঙ্গিনেতা আনওয়ার আল আওলাকির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি ১০ মাস কারাভোগ করেন। তেহজীব করিমের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর বড় ভাই রাজীব করিম আল–কায়েদার মতাদর্শী এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে হামলার পরিকল্পনাকারী ছিলেন। এর দায়ে তাঁর ৩০ বছর কারাদণ্ড হয়ে লন্ডনের জেলহাজতে রয়েছেন। ইয়াসিন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আমির এবং এই মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামি মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানির একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন।২০১৬ সালের ১৪ জুলাই ইয়াসিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ইয়াসিনকে গত শুক্রবার ঢাকার আদালতে হাজির করে ডিএমপিইয়াসিনকে ১৭ মে বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছেরিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধকরণের মূল পরিকল্পনাকারী এবং এই মামলার গ্রেপ্তারকৃত আরেক আসামি রিজওয়ান হারুনের সঙ্গেও ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ২০০৫ সালে জামাতুল মুসলিমিনের কার্যকলাপ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসে। জেএমের সব সদস্য জঙ্গি কার্যক্রম দ্রুত বিস্তারের জন্য রিসার্চ সেন্টার ফর ইউনিটি ডেভেলপমেন্ট (আরসিইউডি) নামক এনজিওর ছত্রচ্ছায়ায় জঙ্গিদের দলে ভেড়ানোর কাজ করতেন।নিখোঁজের প্রায় তিন বছর পর গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে জানতে তেহজীবের বাবা জয়নুল করিমের সঙ্গে গতকাল যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০১৬ সালে প্রথম আলোকে তিনি বলেছিলেন, তেহজীব থাইল্যান্ডে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষকতার ওপর একটি কোর্স শেষ করে ২০১৬ সালের ১৭ মে বিকেলে দেশে ফেরার পর ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হন।তেহজীবদের পারিবারিক আইনজীবী মুরশেদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তেহজীবের মা মমতাজ বেগম শুক্রবার তাঁকে জানিয়েছিলেন তেহজীবের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।ইয়াসিনের মা সুরাইয়া পারভীন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াসিনকে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়েছে, সে বিষয়টি পুলিশ তাঁদের জানায়নি। এক আইনজীবী তাঁদের বিষয়টি জানান। পুলিশ জঙ্গিবাদের সঙ্গে তাঁর ছেলের যে সম্পৃক্ততার কথা বলছে, তা–ও ঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।এ দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে গতকাল ডিবির ধানমন্ডি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আহসান খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে শুধু বলেন, ‘দুজনের বিরুদ্ধেই জঙ্গিবাদের অভিযোগ রয়েছে।’ এর বেশি আর কিছু জানাতে চাননি তিনি।আরও পড়ুন:ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়নিখোঁজ ইয়াসিনের অবস্থান জানতে চায় যুক্তরাজ্যমা ও হাইকমিশন বলছে আটক, খোঁজ পাচ্ছে না র‍্যাব–পুলিশ
402,970
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০১ আগস্ট ২০১৮, ১৯:২২
০১ আগস্ট ২০১৮, ১৯:২২
বলিউড,আমির খান
0
সবাই আমিরকে চান কেন?
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1544976
ছবি করতে হলে কেন আমিরকেই খোঁজেন পরিচালকেরা? আমির খানই বা কেন ফিরিয়ে দেন বহু চিত্রনাট্য? কেন তাঁর ছবিগুলো হয় সুপারহিট? সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পঞ্চম চিত্রনাট্যকার সম্মেলন। সেখানে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খান। এ ছাড়া চিত্রনাট্যকারদের কাছে ছবির লভ্যাংশ নেওয়ার পদ্ধতিও ব্যাখ্যা করেন তিনি।আমির খান বলেন, ‘আমি মনে করি, ভালো একটি চিত্রনাট্য একটি ছবির ভিত্তি। আমি আগে নিশ্চিত হয়ে নিই, চিত্রনাট্যটি যদি ভালো লাগে, সেটা দিয়ে ছবি বানানো হলে বিনিয়োগকারীর আর্থিক ক্ষতি হবে না। আমি প্রযোজকের একার কাঁধে দায় চাপাই না। শুনেছি, অনেক অভিনেতা আগেই সম্মানী নিয়ে নেন। অগ্রিম সম্মানী নিলে প্রযোজকের ওপর চাপ পড়ে। পরে তাঁরা আবার লভ্যাংশও দাবি করে বসেন!’আমির খান তাঁর সম্মানী গ্রহণের মডেলটি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমি অগ্রিম সম্মানী নিই না। ধরা যাক, একটি ছবি বানাতে লাগবে ১০০ কোটি রুপি। এর ভেতরে থাকবে শিল্পী ও কুশলীদের সম্মানী, প্রডাকশন খরচ, পোস্ট-প্রোডাকশনের খরচ—সব। এর ভেতরে আমার কোনো সম্মানী থাকে না। যখন ছবিটি মুক্তি পায়, তখনো আমি এক রুপিও পাই না। ছবির প্রচার আর বিজ্ঞাপনে অর্থ খরচ করতে হয়, ধরা যাক সেটা আরও ২৫ কোটি রুপি। এই খরচের পর ছবিটি যখন রোজগার শুরু করে আর এসব অর্থ উঠে আসে, প্রযোজক তখন বিনিয়োগ ফিরে পান। সবাই তাঁদের সম্মানী পেয়ে যান। এরপর লাভ উঠতে শুরু করলে আমি সেখান থেকে লভ্যাংশ নিই। এতে কিন্তু প্রযোজকের কোনো আর্থিক ক্ষতি হয় না। কোনো কারণে ছবিটি টাকা তুলতে না পারলে আমি কোনো রুপি পাই না।’এটাই অভিনেতা আমির খানের লভ্যাংশ গ্রহণের পদ্ধতি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বড় অঙ্কের লভ্যাংশ নিয়ে থাকি। কারণ আমি বড় ঝুঁকি নিই। আমার ধারণা, এতে প্রযোজকও খুশি হন। ছবি বানানোর ক্ষেত্রে এটাই সেরা ব্যবসায় মডেল। প্রযোজক ক্ষতিগ্রস্ত না হলে, সে আবার আমার কাছে আসবে।’এ পদ্ধতিতেই অভিনেতা আমির ছবির দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন সেই ‘লগন’ ছবি থেকে। ২০০১ সালের সেই ছবির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘সেই সময় থেকে মূলধারার ব্যয়বহুল ছবির সম্মানী গ্রহণের নিয়ম বদলে যায়। এ জন্যই আমার পছন্দ করা বিষয়বস্তু নিয়ে বিনিয়োগকারীরা কোনো কথা বলেন না। কারণ তাঁরা আমাকে বিশ্বাস করেন, আমার ওপর আস্থা রাখেন।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
372,271
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ জুন ২০১৭, ০১:৩৭
০৭ জুন ২০১৭, ০১:৪১
-1
0
গৌরনদীর কর্মকর্তা–কর্মচারীরা মে মাসের বেতন পাননি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1208171
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মে মাসের বেতন গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পাননি। তাঁদের অভিযোগ, এটা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার গাফিলতি। তবে ওই কর্মকর্তা বলছেন, সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বেতন দেওয়া যাচ্ছে না।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গৌরনদীতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ১৮০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ ভোগান্তিতে পড়েছেন। সরকারি বিধান অনুযায়ী, তাঁদের প্রতি মাসের বেতন পরবর্তী মাসের ১ তারিখের মধ্যে দেওয়ার কথা। কিন্তু জুন মাসের ৬ তারিখ চলে গেলেও তাঁরা মে মাসের বেতন পাননি।গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী ফজল আহম্মেদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খান মো. মনিরুজ্জামান ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা খানমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা এখনো মে মাসের বেতন পাননি। বিশেষ কষ্টে আছেন কম বেতনের কর্মচারীরা। অন্তত ১০ জন কর্মচারী বলেন, ৬ তারিখ পার হলেও বেতন না পাওয়ায় তাঁরা এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁরা এ ব্যাপারে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন।ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, গৌরনদী উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে তাঁদের মে মাসের বেতন আটকে আছে।তবে গৌরনদী উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, ‘আমাদের কোনো গাফিলতি নাই। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ১ জুন থেকে বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের লেনদেন অনলাইনে চালু করা হয়েছে। কিন্তু ওই দিন থেকেই কার্যালয়ের সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এ কারণে বেতন দিতে পারছি না। কবে নাগাদ সেটি ঠিক হবে তাও বলা যাচ্ছে না।’গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, গত সোমবার পর্যন্ত জাতীয় সার্ভারে সমস্যা ছিল। সেটি ঠিক হলেও স্থানীয় সার্ভারের ত্রুটি এখনো ঠিক করা যায়নি। সেটি ঠিক করে যত দ্রুত সম্ভব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
322,081
হুমায়ূন আহমেদ
opinion
মতামত
২০ মার্চ ২০১৬, ০২:২৮
২০ মার্চ ২০১৬, ০৩:০৯
মুক্তিযুদ্ধ
null
কিছু মনে পড়ে না
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/804322
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের জীবন ছিল আতঙ্ক ও ত্রাসে পূর্ণ। রশীদ হায়দার সম্পাদিত ১৯৭১: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বইটি থেকে প্রয়াত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিচারণামে মাসের ৪ তারিখে পাকিস্তানি মিলিটারি কর্নেল আতিকের নেতৃত্বে পিরোজপুর শহরে ঢোকে। আশা করা গিয়েছিল যে তারা জনশূন্য একটা শহরে ঢুকবে এবং বেশ কষ্ট করে ঢুকবে। কারণ, শহরে মুক্তিবাহিনীর একটি বড় দল ছিল। এই দলটিকে ট্রেনিং দিয়েছেন মেজর জলিল, ক্যাপ্টেন জিয়া এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর একজন অফিসার, যাঁর নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। আশ্চর্যের ব্যাপার, পাকিস্তানি মিলিটারি যখন গানবোট নিয়ে হুলারহাটে এসে ভিড়ল এবং তিন দিক থেকে পিরোজপুর শহর আক্রমণ করল, তখন তাদের দিকে মুক্তিবাহিনীর একটি গুলিও ছোড়া হলো না। সম্ভবত তারা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। শক্তিশালী একটি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধ করার মতো প্রস্তুতিও তাদের ছিল না। বিনা বাধায় সৈন্যবাহিনী শহরে প্রবেশ করল, তাদের স্বাগত জানাল কিছুসংখ্যক মানুষ (?), পাকিস্তান জিন্দাবাদ এবং ইয়াহিয়া খান জিন্দাবাদ ধ্বনি দেওয়া হতে লাগল। তারা হয়তো তখনো বুঝতে পারেনি কাদের তারা বরণ করছে।আমি তখন শহর থেকে সাত-আট মাইল দূরে এক গ্রামে ভাইবোন নিয়ে পালিয়ে আছি। শহর থেকে অদ্ভুত অদ্ভুত সব খবর আসছে, তার কোনটি বিশ্বাস করব কোনটি করব না তা বুঝতে পারছি না। যেমন দুজন পাকিস্তানি সেনা হতভাগ্য বন্দীর দুই পা দুই দিকে টেনে ধরে অন্য একজন কুঠার দিয়ে কুপিয়ে দুই ভাগ করে ফেলে। বন্দীদের খেজুরগাছে উঠতে বলে, তারা যখন ওঠে তখন গুলি করে, গাছ থেকে মানুষ নিচে পড়ে, তারা উল্লাসে চেঁচিয়ে বলে, খেজুর পাড়া হচ্ছে। শুনলাম ভগীরথ কিংবা ভগীরথি নামের একজনকে দড়ি দিয়ে জিপের সঙ্গে বেঁধে শহরের রাস্তায় রাস্তায় টেনে নেওয়া হয়েছে। তাকে মারা হয়েছে এভাবেই। মৃত্যু-মৃত্যু খেলা যাকে বলে। তবে সবই শোনা খবর, কোনোটাই তাই পুরোপুরি বিশ্বাস হয়নি। পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের দলিলে (অষ্টম খণ্ড) এই জাতীয় হত্যার বিবরণ পেয়েছি।পিরোজপুর শহরে প্রবেশের সাত দিনের মধ্যেই মিলিটারি চারদিকে ভয়াবহ আতঙ্ক জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হলো। বলেশ্বর নদের পাড়ে, স্টিমার জেটি হলো বধ্যভূমি। হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ক্যাপ্টেন এজাজ, যার মুখে একটি কথাই ছিল, ‘জেটি মে ভেজ দো।’ হতভাগ্যদের জেটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হতো, তারপরের দৃশ্য বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না।কিছুদিনের মধ্যেই মিলিটারিরা গুলি করে হত্যায় উত্সাহ হারিয়ে ফেলল। হত্যা ব্যাপারটাকে মজাদার করার চেষ্টা চালাল। নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার হলো। হাত-পা বেঁধে পানিতে ছেড়ে দেওয়া, গাছে ঝুলিয়ে হত্যা। সত্যি সত্যি চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটল।আমরা আতঙ্কে অস্থির হয়ে গেলাম। কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দুরা আশ্রয় নিয়েছে গভীর জঙ্গলে। কী অবর্ণনীয় কষ্ট! মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, জঙ্গলে সাপখোপের আড্ডা, বাইরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকারদের দল। বলেশ্বর নদে ভেসে যাচ্ছে অগুনতি লাশ। এই রকম অবস্থায় খবর পেলাম পাকিস্তানি বাহিনী আমাকে এবং আমার ছোট ভাইকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমরা দুজনই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং আমাদের বাবা পাকিস্তানি বাহিনীর ভাষায় দেশের বড় শত্রুদের একজন। তাঁকে তারা হত্যা করেছে, এখন খুঁজছে আমাদের।যাঁর বাড়িতে ছিলাম তিনি আমাদের বাঁচানোর জন্য একটা কৌশল বের করলেন। তিনি বলেন, আমাদের দুই ভাইকে শর্ষিনার পীর সাহেবের মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেবেন। আমরা মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকব, পড়াশোনা করব।পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে এবং টুপি মাথায় দিয়ে আমরা দুই ভাই আশ্রয়দাতা ভদ্রলোকের সঙ্গে স্বরূপকাঠি রওনা হলাম। পৌঁছালাম পীর সাহবের দরবারে। শুনলাম ৬ মে মিলিটারিরা পীর সাহেবকে সালাম জানাতে এসেছিল এবং সালাম জানিয়ে দোয়া নিয়ে গেছে। যাওয়ার পথে চারদিক ছারখার করে দিয়ে গেছে।জানা গেল শর্ষিনার পীর সাহেবের সঙ্গে মিলিটারির খুব ভালো যোগাযোগ আছে। তারা স্বরূপকাঠি এলেই পীর সাহেবের আতিথ্য গ্রহণ করে। পীর সাহেব আমাদের দুই ভাইকে মাদ্রাসায় রাখতে রাজি হলেন না। আমরাও থাকতে চাইলাম না। আমরা চাচ্ছিলাম অতি দ্রুত পালিয়ে যেতে। কেবলই মনে হচ্ছিল, এ জায়গা থেকে যত দূরে থাকতে পারব ততই মঙ্গল। (শুনেছি শর্ষিনার পীর সাহেবকে নাকি স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই খবরটা সত্যি না। পত্রপত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশনে তো প্রায়ই মিথ্যা খবর ছাপা ও প্রচার হয়, এটাও বোধ হয় সে রকম কোনো খবর।)শর্ষিনা থেকে নৌকায় ফেরার পথে নিজের দেখা একটি দৃশ্য বর্ণনা করে এই লেখা শেষ করব। খোলা নৌকার পাটাতনে বসে আছি। ভরা জোয়ার, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে, হঠাৎ মাঝি বলল, ‘দেহেন দেহেন’। তাকিয়ে দেখলাম দুটি মৃতদেহ ভাসতে ভাসতে যাচ্ছে। এমন কোনো দৃশ্য নয় যে অবাক বিস্ময়ে দেখতে হবে। খুবই সাধারণ দৃশ্য। রোজই অসংখ্য মৃতদেহ নদীতে ভাসতে ভাসতে যায়। শকুনের পাল দেহগুলোর ওপর বসে বসে ঝিমোয়। নরমাংসে তাদের এখন আর রুচি নেই। কিন্তু আজকের মৃতদেহ দুটির ওপর কোনো শকুন বসে নেই। আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। চোখ ফেরাতে পারছি না। সবুজ শার্ট গায়ে দেওয়া ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছরের একজন যুবকের মৃতদেহ। তার গলা জড়িয়ে ধরে আছে সাত-আট বছরের একটি বালিকা। বালিকার হাতভর্তি লাল চুড়ি। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে এই বালিকাটি তার বাবার গলা জড়িয়ে ধরে রেখেছিল। এই মেয়েটি তখন কী পরিমাণ ভয় পেয়েছিল আমি জানি না। জানতেও চাই না। আমি সবকিছু ভুলে যেতে চাই।পরবর্তী সময়ে (সম্ভবত আগস্ট মাসে) আমি নিজে মিলিটারিদের হাতে বন্দী হই। স্থান হয় তাদের বন্দিশালায়। সেই অভিজ্ঞতার কথা আমি লিখতে অনেকবার চেষ্টা করেছি, পারিনি। লিখতে বসলেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। ছবিগুলো কিছুতেই সাজাতে পারি না। যে অংশটি লিখতে বসি হঠাৎ লক্ষ করি, কিছু মনে পড়ছে না। ওই স্মৃতিটি যেন নেই, অন্য কিছু মনে পড়ে। সেইটি লিখতে গেলেও একই অবস্থা। কেন এ রকম হয় আমি জানি না, মনস্তত্ত্ববিদেরা হয়তো-বা বলতে পারবেন।শুধু একটা স্মৃতি বেশ পরিষ্কার মনে আছে। ঠান্ডা মেঝেতে হাত-পা এলিয়ে আমি শুয়ে আছি এবং চিত্কার করছি, পানি, পানি। চিত্কারের সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি বন্ধ হলো। বদনায় করে আমার জন্য পানি আনা হলো। পুরো এক বদনা পানি আমি খেয়ে ফেললাম, তৃষ্ণা মিটল না। আরও হাজার গুণে বেড়ে গেল। আমার বন্দিশালার স্মৃতি মানে বুক ফেটে যাওয়া তৃষ্ণার স্মৃতি। এই তৃষ্ণার কারণ কী আমি জানি না। আমার কিছু মনে পড়ে না।সূত্র: ১৯৭১: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সম্পাদনা: রশীদ হায়দার, সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা, মে ১৯৯৬
212,440
প্রতিবেদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৩৫
০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩২
নোয়াখালী,সুবর্ণচর,অপরাধ,ধর্ষণ,চট্টগ্রাম বিভাগ,আওয়ামী লীগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
null
‘শক্তির অপপ্রয়োগের প্রমাণ সুবর্ণচরের গণধর্ষণ’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1573240
ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ কতটা অগণতান্ত্রিক এবং এই নির্বাচনে কীভাবে শক্তির অপপ্রয়োগ হয়েছে, এই ঘটনা তার একটা প্রমাণ। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কতটা নিষ্ঠুর, এই ঘটনা তারও প্রমাণ। প্রত্যাশা করব, আওয়ামী লীগ তার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে মেসবাহ কামাল এ কথা বলেন। সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট’ নামে এক সংগঠন।মেসবাহ কামাল বলেন, ‘নোয়াখালীর সুবর্ণচরের এই ঘটনা আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাগুলোর একটা। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং এই ব্যাপারে আইনের যে অপ্রতুলতা রয়েছে, তা সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।’মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির আহ্বায়ক শিবলী হাসান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ—বিসিএলের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহজাহান আলী সাজু, লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট মারুফ রসূল, সংস্কৃতিকর্মী সানজিদা কাজী, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদস্য রূপসী চাকমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে ওই নারীর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাঁকে পিটিয়ে আহত ও ধর্ষণ করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
385,868
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ আগস্ট ২০১৪, ২০:০৮
০৪ আগস্ট ২০১৪, ২০:০৯
-1
0
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা ইবোলা-আক্রান্ত হননি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/282475
পশ্চিমা আফ্রিকার দেশগুলোতে ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও সেখানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সুস্থ আছেন। এমনকি বাংলাদেশসহ অন্য কোনো দেশের শান্তিরক্ষীরা এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হননি।আজ সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।তথ্য বিবরণীতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইবোলা প্রতিরোধে জাতিসংঘ কর্তৃক সর্বোচ্চ প্রতিরোধ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতিসংঘ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম আফ্রিকার তিনটি দেশ মালি, আইভোরি কোস্ট ও লাইবেরিয়ায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা বর্তমানে কাজ করছেন।এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইবোলা ভাইরাস ডিজিজ একটি মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। কোনো কোনো সময় ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। ইবোলা ভাইরাস ডিজিজকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর রোগগুলোর একটি বলা হয়ে থাকে। আক্রান্ত প্রাণী বা ব্যক্তির রক্ত, দেহের তরল অংশ বা টিস্যু থেকে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। রোগটি বিস্তারের সময় আক্রান্ত বা মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি, পরিচর্যাকারী স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন।এ রোগের সংক্রমণে পরিবার এমনকি গোটা সম্প্রদায় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। তবে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বা ঘরে যথাযথ চিকিত্সায় রোগী সুস্থ হতে পারে।বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানত বন্য জন্তু থেকে এ ভাইরাসটির উত্পত্তি। শিম্পাঞ্জি, গরিলা, বানর ও বাদুড় থেকে রোগটির বিস্তার হয়। তিনি জানান, আফ্রিকার যে জায়গাগুলোয় রোগটির বিস্তার ঘটছে সেগুলোর অবস্থান জঙ্গলের কাছে।এর আগে ১৯৭৬ সালে কঙ্গোতে ইবোলার সংক্রমণ ঘটে। কঙ্গোর একটি নদী ইবোলা। এ নামেই পরে ভাইরাসটি পরিচিতি পায়। এ বছর গিনি, লাইবেরিয়া, সিয়েরালিয়ন ও নাইজেরিয়ায় রোগটির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ইবোলা ভাইরাস ডিজিজের পাঁচটি ধরন রয়েছে, এবারেরটি সবচেয়ে ভয়াবহ।
82,228
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪২
২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪২
বরগুনা,অপরাধ
0
কার্ড পেয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষকেরাও
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1007693
বরগুনায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী ব্যক্তিদের তালিকায় ব্যাংক কর্মকর্তা ও শিক্ষকসহ সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির জন্য ডিলার নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ডিলারদের মধ্যে সরকারি কলেজের একজন শিক্ষকও আছেন।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ কর্মসূচির আওতায় চাল বিক্রির জন্য জেলার ৪২টি ইউনিয়নের ৫৪ হাজার ৬১৮ জন উপকারভোগীকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে ১০৯ জন।সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৮২৭ জন উপকারভোগীর কার্ড রয়েছে। এ তালিকায় সচ্ছল, অন্য এলাকার বাসিন্দা, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের ছেলেশিশুর (১০) নামও রয়েছে। গত শনিবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আবু হেনা মোস্তফা জামান বলেন, ‘তালিকায় আমার ছেলের নাম দেখতে পেয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে।’জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, মন্টু নামের ব্যক্তির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন এলাকায়। কিন্তু তাঁর নামও একই ইউনিয়নের উপকারভোগীদের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া খোকন সরদার নামের আরেক ব্যক্তি আর্থিকভাবে সচ্ছল, তাঁর নামও রয়েছে তালিকায়। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দু-একটি ভুলভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করা হবে। আমি বিষয়টি ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি।’একই উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নে তালিকায় শিক্ষক ও সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাফায়েত হোসেন নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া জালাল আকন, আবদুস সোবাহান ও পিয়ারা বেগম নামের তিনজন রয়েছেন। তাঁরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এ ছাড়া একই ইউনিয়নের উপকারভোগীদের তালিকায় থাকা বায়েজিদ নামের এক ব্যক্তির স্থানীয় বাজারে ওষুধের বড় দোকান রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আশশাকুর রহমান বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে তালিকা করতে গিয়ে কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে। সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।’গৌরিচন্না ইউনিয়নে সুবিধাভোগীর তালিকায় চার সহোদর রয়েছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধুপতি এলাকার এ চার ভাইবোন হলেন স্বপন, বেলাল, মেরি ও রিপন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভূতমারা এলাকার দিলীপ দত্তের বরগুনা শহরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি বিত্তবান। কিন্তু তাঁর নামেও হতদরিদ্রের কার্ড আছে।সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নে মোট চারজন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ নামের ডিলারের বিপরীতে বরইতলা ফেরিঘাট এলাকায় চাল বিক্রির স্থান নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তিনি মাত্র দুদিন পরই পোটকাখালী এলাকায় চলে আসেন। অথচ পোটকাখালী এলাকায় ইসমাইল হোসেন নামের আরও একজন ডিলার রয়েছেন।গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকায় নিযুক্ত ডিলারের দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। তখন মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ডিলার আল আমিন খান বলেন, ‘আমি খাদ্যগুদামে চাল নিতে এসেছি। এখানে চাল দিতে বিলম্ব করায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।’এ ছাড়া নলটোনা ইউনিয়নে সাদিকুল ইসলাম নামের একজনকে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি পাথরঘাটা সরকারি হাজী জালাল উদ্দীন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষক। সাদিকুল বলেন, ‘আমার কলেজটি এখনো সরকারি হয়নি। কেবল ঘোষণা হয়েছে। খাদ্য বিভাগে আবেদন করার পর তাঁরা আমাকে ডিলার নিয়োগ করে।’জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তালিকায় অসংগতির বিষয়ে ইউএনও আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
259,418
শাহাদুজ্জামান
opinion
মতামত
০৩ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৬
০৩ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৯
চিরকুট,শাহাদুজ্জামান,মতামত,লেখকের কলাম
null
পৃথিবীকে ছিঁড়েখুঁড়ে একাকারের মহোৎসব!
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/591787
সম্প্রতি লন্ডনের টেট মডার্ন মিউজিয়ামে একটা সেমিনারে গেলাম। বিষয় ‘এনথ্রোপোসিন’ (Anthropocene)। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ, বিশ্ব উষ্ণায়ন ইত্যাদি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কাছে বিষয়টা পরিচিত। পৃথিবী গ্রহের লাখ লাখ বছরের জলবায়ু, ভূতত্ত্ব নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা লক্ষ করেছেন যে পৃথিবীর আবহাওয়ার বড় বড় পরিবর্তন হয়েছে মূলত নানা রকম প্রাকৃতিক কারণে। হিমপ্রবাহ, প্রবল ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির বিকট অগ্ন্যুৎপাত ইত্যাদি পৃথিবীর চেহারা বদলে দিয়েছে। তুষার যুগে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বহু প্রাণী, এমনকি অতিকায় ডাইনোসর। প্রবল ভূমিকম্পে বদলে গেছে নদীর গতিপথ, যেমন আমাদের ব্রহ্মপুত্র। পৃথিবীর পৃষ্ঠে দেখা দিয়েছে নতুন পর্বতমালা, যেমন হিমালয়। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে হারিয়ে গেছে রমরমা নগর, যেমন পম্পেই।প্রকৃতিই বদলে দিয়েছে প্রকৃতিকে। এসব একেকটা পরিবর্তন ঘটেছে হাজার বছরের ব্যবধানে। কিন্তু সম্প্রতি গবেষকেরা লক্ষ করছেন গত মাত্র দেড় শ-দুই শ বছরের ব্যবধানে পৃথিবীর আবহাওয়া, জলবায়ু, ভূত্বকের একটা বড় পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে সবার অলক্ষ্যে। এবং এই পরিবর্তনটা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঘটছে না, ঘটছে মানুষের হাতে। কোনো হিমপ্রবাহ নয়, ভূমিকম্প নয়, অগ্ন্যুৎপাত নয়, বরং মানুষ নিজের হাতে নিজের বাসস্থান এই পৃথিবী গ্রহটাকে বিপজ্জনকভাবে বদলে ফেলছে। এই পরিস্থিতিকে বলা হচ্ছে ‘এনথ্রোপোসিন’। গ্রিক শব্দ ‘এনথ্রোপ’-এর অর্থ মানুষ আর ‘সিন’ অর্থ নতুন। পৃথিবীকে নিয়ে মানুষের নতুন কাণ্ড।প্রখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ ইয়ান জালাসিয়েভিস বলছিলেন কীভাবে প্রাচীন ইতিহাসে মানুষ একটা সময় প্রকৃতির কাছে কাবু ছিল, তারপর তারা প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে শিখল। এরপর তারা শুরু করল প্রকৃতিকে জয় করতে। একপর্যায়ে প্রকৃতিকে জয় করার নেশা প্রকৃতিকে গ্রাস করার নেশায় পর্যবসিত হলো। পৃথিবীপৃষ্ঠের অন্যান্য প্রাণী পৃথিবীকে খুঁড়তে পারত সামান্য কিছু দূর পর্যন্ত। ইঁদুর হয়তো ইঞ্চি খানেক গর্ত খুঁড়তে পারত, খরগোশ হয়তো ফুট খানেক। কিন্তু মানুষ তার লোভের ধন খুঁজতে পৃথিবী খুঁড়ে চলে গেল মাটির নিচে মাইলের পর মাইল। শুধু মাটির নিচে নয়, মাটির ওপরেও যেখানে যা কিছু আছে তা নিজের দখলে নেওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠল মানুষ। পৃথিবীর তলা খুঁড়ে তুলে আনল কয়লা, তেল, সোনাদানা। বড় বড় বাঁধ দিয়ে বদলে দিল নদীর গতিপথ, বন কেটে, পাহাড়-পর্বত কেটে বানিয়ে তুলল ইট-কংক্রিটের নগর।গত দেড় শ-দুই শ বছর পৃথিবী গ্রহকে ছিঁড়েখুঁড়ে একাকার করার এই মহোৎসব চলছে। লাখো কোটি বছরের পুরোনো এই পৃথিবীর ওপর এমন অত্যাচার এর আগে আর ঘটেনি। মানুষ ভুলে গেছে তার আরাম, আনন্দ। গতির জন্য প্রযুক্তিকে যেভাবে সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর করা হচ্ছে, যে ধারার নগর তৈরি করা হচ্ছে, তার সব কাঁচামাল সরবরাহ করছে এই পৃথিবীর প্রকৃতি আর প্রাণিজগৎ। কিন্তু পৃথিবীর সম্পদ তো অসীম নয়। জালাসিয়েভিস হিসাব করে দেখালেন পৃথিবীর সব মানুষকে যদি আজকের যাবতীয় আধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে হয়, পৃথিবীর সব এলাকাতে যদি একই ধারার নগরায়ণ করতে হয়, তাহলে কোনোভাবেই এই পৃথিবীর কাঁচামাল দিয়ে তা হবে না। তিনি অঙ্ক করে দেখালেন যে এ জন্য আরও অন্তত দুই-একটা এমন আস্ত পৃথিবীর দরকার।পৃথিবীকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিতে গেলে আমাদের পৃথিবীকে গ্রাস করার এই প্রক্রিয়ার লাগাম টানতে হবে আর সেই লাগাম টানলেই জীবনযাপনের একটা নতুন ধরন আমাদের ভাবতে হবে। এই জীবন মানে কি তাহলে অরণ্যের আদিমতায় ফিরে যাওয়া? মোটেও তা নয়মানুষের দাপটে ইতিমধ্যে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অগণিত প্রাণী, নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বৃক্ষ, ফুটো হয়ে গেছে ওজোনস্তর। মানুষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পৃথিবী এবার তার ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে, উষ্ণ হয়ে উঠছে পৃথিবীতল, অসময়ে দেখা দিচ্ছে সুনামি, বন্যা; অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে আবহাওয়া। গবেষকেরা বলছেন, একটা ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। ভূমিকম্পের ব্যাপারে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ব্যাপারে, সুনামির ব্যাপারে মানুষের কোনো হাত নেই। কিন্তু এখন যা ঘটছে তা মানুষের হাতেই ঘটছে। ফলে, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ এখন মানুষেরই হাতে।সেমিনারে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ দীপেশ চক্রবর্তী বললেন, এই যে জলবায়ুর সংকট, ভূত্বকের সংকটের কথা আমরা বলছি, এর মূলে আসলে রয়েছে দার্শনিক সংকট, ইতিহাসের সংকট। আমরা কোন পৃথিবী, কোন সমাজ চাই, সেই আদর্শিক প্রশ্ন মীমাংসা না করলে জলবায়ুর সংকট নিরসন সম্ভব নয়। এই যে পৃথিবীকে ছিঁড়েখুঁড়ে নেওয়ার মহোৎসব, তা শুরু হয়েছে উনিশ শতকের শিল্পবিপ্লব ও তার পরবর্তী ঔপনিবেশিক শাসনের কালে। এনলাইটেনমেন্ট ধারণার আলোকে ইউরোপ যে সভ্যতার আদর্শ তৈরি করেছে, ক্রমেই বাজার অর্থনীতির পথ ধরে তা এক ব্যক্তিসর্বস্ব, ভোগসর্বস্ব সমাজে পর্যবসিত হয়েছে।কিন্তু যাঁরা এই বাজার অর্থনীতির বিপক্ষে এক বৈষম্যহীন, সাম্যবাদী সমাজের কথা বলছেন, তাঁদের বিবেচনায়ও এই পৃথিবী গ্রহ নেই। তাঁদের ভাবনা কেবলই মানুষ ও তার সমাজকেন্দ্রিক। তাঁরা কেবলই এক বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলছেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, পশ্চিমা সভ্যতা বস্তুগত জীবনযাপনের যে আদর্শ তৈরি করেছে, বৈষম্যহীনভাবে সেই জীবনযাপনের ওপর সবার অধিকার প্রতিষ্ঠাই কি সাম্যবাদী সমাজ আন্দোলনের মূল কথা? বৈষম্য সংকটের একটা দিক কিন্তু আরও বড় দিক হচ্ছে ভাবনাকে শুধু মানুষ ও তার সমাজকেন্দ্রিক রাখা। পুরো পৃথিবী গ্রহকে কেন্দ্রে রেখে যদি আমরা আমাদের সমাজ-ভাবনাকে সাজাই, তাহলে মাটি, নদী, আকাশ, প্রাণী ইত্যাদিকে তাদের ন্যায্য হিস্যা দিয়ে আমাদের মনুষ্য সমাজ গড়তে হবে।পৃথিবীকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিতে গেলে আমাদের পৃথিবীকে গ্রাস করার এই প্রক্রিয়ার লাগাম টানতে হবে আর সেই লাগাম টানলেই জীবনযাপনের একটা নতুন ধরন আমাদের ভাবতে হবে। এই জীবন মানে কি তাহলে অরণ্যের আদিমতায় ফিরে যাওয়া? মোটেও তা নয়। বরং এ জীবন হতে হবে এমন, যা প্রকৃতিকে সম্মান জানিয়ে, আমাদের লোভের লাগাম টেনে আরও একটু স্নিগ্ধ, আরও একটু আলতোভাবে আমাদের বাঁচতে উদ্বুদ্ধ করবে। পশ্চিমা সভ্যতা আমাদের সামনে জীবনযাপনের যে আদর্শ স্থাপন করেছে, তাতে তেমন প্রকৃতিবান্ধব বিনীত জীবন সম্ভব নয়। দীপেশ চক্রবর্তী সাব অলটার্ন তত্ত্বের অন্যতম দার্শনিক। তিনি বিকল্প আধুনিকতার কথা বলেন। সেই আধুনিকতার ভাবনায় প্রাচ্য, পাশ্চাত্য দর্শনের সংশ্লেষ করার কথা আছে। সেসব হয়তো বহু প্রজন্মের কাজ কিন্তু ভাবনাটা তো কোনো এক জায়গা থেকে শুরু করতে হবে, এই তাঁর প্রস্তাব।সেমিনার শুনতে শুনতে ভাবছিলাম কবি যে বলেছেন, ‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই’—এ কথার বিপদ আছে। মানুষ্য সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে কথাটা নিঃসন্দেহে জরুরি। কারণ, তা মানুষে মানুষে ভেদাভেদের বিরোধিতা করে। কিন্তু পুরো পৃথিবী গ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথাকে মেনে চললে তা আমাদের সেই পথেই টেনে নেবে, যেখানে মানুষ নিজেকেই একমাত্র সত্য জেনে পৃথিবী গ্রহটাকে ছিঁড়ে-খুবলে খেতে থাকবে শুধু। হয়ে উঠবে এক মানুষ রাক্ষস।শাহাদুজ্জামান: কথাসাহিত্যিক।zaman567@yahoo.com
157,235
মাগুরা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ জুন ২০১৭, ০০:০৫
০২ জুন ২০১৭, ০০:০৫
মাগুরা,খুলনা বিভাগ
0
৯৫ শতাংশ চালকলমালিক চুক্তি করেননি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1201751
প্রতি কেজি মোটা চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। অথচ সরকারের নির্ধারিত দাম ৩৪ টাকা। মাগুরার প্রায় ৯৫ শতাংশ চালকলমালিক সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের চুক্তি করেননি। এতে চলতি বোরো মৌসুমের চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে বসেছে।জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে মাগুরায় সরকারিভাবে ৩ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ২ হাজার ৩২৭ মেট্রিক টন, শ্রীপুরে ২৬৩ মেট্রিক টন, শালিখায় ৯৭৬ মেট্রিক টন ও মহম্মদপুরে ২৭৭ মেট্রিক টন। গত ২ মে শুরু হয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ সংগ্রহ অভিযান চলবে। এরই মধ্যে এক মাস পেরিয়ে গেলেও এক কেজি চালও দেননি চুক্তিবদ্ধ চালকলমালিকেরা।মাগুরায় খাদ্য বিভাগের নিবন্ধিত চালকল রয়েছে মোট ১৮৭টি। প্রতি মৌসুমেই তারা চুক্তিবদ্ধ হয়ে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল দেয়। কিন্তু চলতি বোরো মৌসুমে মাত্র আটটি চালকলের মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা মাত্র ১৩৩ মেট্রিক টন চাল দেবেন, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার সোয়া ৩ শতাংশের মতো। শালিখা ও শ্রীপুর উপজেলার কোনো চালকল মালিকই চুক্তিবদ্ধ হননি। অথচ দুই দফা বাড়িয়ে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মেয়াদ গত ৩১ মে শেষ হয়ে গেছে।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘খোলাবাজার থেকে সরকার–নির্ধারিত দামের পার্থক্য কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৬ টাকা। যে কারণে চালকলমালিকেরা চাল ‍দিতে চুক্তিবদ্ধ হননি। তবে আমরা তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছি। যাঁরা চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হননি, আইনানুযায়ী তাঁদের মিল বন্ধ ও নিবন্ধন বাতিল করা হবে।’উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। লক্ষ্যমাত্রার ৫ শতাংশ চালও সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায়ই জানা নেই তাঁদের।মাগুরা জেলা চালকলমালিক সমিতির সভাপতি মো. সরোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার যে দাম ধরেছে, তার চেয়ে খোলাবাজারে মোটা চালের দাম কমপক্ষে ৪-৬ টাকা বেশি। এ ছাড়া বাজারে ধানের দামও অনেক বেশি। এ কারণে আমরা চুক্তিবদ্ধ হইনি। এত লোকসান গোনা অমাদের পক্ষে সম্ভব না। দু-একজন চালকলমালিক চুক্তি করে বিপদে পড়েছেন।’চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মহম্মদপুরের রোহান রাইস মিলের মালিক বাকির বিশ্বাস। তিনি ৩৩ মেট্রিক টন চাল দিতে চেয়েছেন। বাকির বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারের যা অবস্থা তাতে অনেক টাকার ক্ষতিতে পড়ব। তারপরও দিতে হবে। কারণ সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করে আমরা লাভও তো করি। এবার না হয় ক্ষতি হবে।’চালকলমালিকেরা বলছেন, ক্ষতির পরিমাণটা কেজিতে এক–দেড় টাকা হলেও হতো। কিন্তু সেটা অনেক বেশি। সরকার দাম দিচ্ছে ৩৪ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। তাই চুক্তি করেননি। এখন সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে নেবে।লাভের সময় চাল দেবেন, লোকসানের সময় দেবেন না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে শালিখার এসবি অ্যাগ্রো অটো রাইস মিলের মালিক শহীদুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘সরকারি রেটের থেকে বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। তাই আমি চুক্তি করিনি। কিন্তু সরকার যদি বলে দিতেই হবে। করার কিছুই নেই, ব্যবসা যেহেতু করি। তবে ছোট মিলমালিকেরা পুঁজি হারানোর ভয়ে সরকারি গুদামে চাল দিতে রাজি নন।’
321,107
কুড়িগ্রাম অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ মার্চ ২০১৬, ০০:৫৮
৩০ মার্চ ২০১৬, ০০:৫৯
বিশাল বাংলা,নির্বাচন
0
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদারে স্বস্তিতে ভোটার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/813973
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ভয় থাকলেও এখন স্বস্তি ফিরে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল জোরদার করায় ভোটারদের মধ্যে এ স্বস্তি এসেছে। ফলে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনও জমে উঠেছে।উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলার ছয় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রমনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৮টি গুলি ছোড়ে পুলিশ। সে কারণে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ছিল। কিন্তু এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখে তাঁদের ভয় কেটে যাচ্ছে।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গতকাল মঙ্গলবার দেখা যায়, র্যা ব, বিজিবি ও পুলিশ গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছে। গ্রামীণ সড়কের মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট চা দোকানে, বাজারে মানুষ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছে। রানীগঞ্জ চৌমোহনী এলাকায় চা দোকানে বসে কথা হয় সেকেন্দার আলী নামের এক ভোটারের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ‘কয়দিন আগত ভয় নাগছিল ভোটত কি বেন হয়। এ্যালা মানষের ভয় কাটি গেইছে। প্রশাসনের লোকজন দেখে না খালি ঘুড়বার নাগছে।’থানাহাট ইউনিয়নে দেখা হয় মো. আলী, বাসেদ ও বক্করের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘ভোট জমি গেইছে। এদোন অবস্থা থাকলে নৌকা-ধানের শীষ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হইবে।’দুপুরে উপজেলা সদরে দেখা যায়, অধিকাংশ জায়গায় আলাপ হচ্ছে শুধু ভোট নিয়ে। শিক্ষক নাজমুল হুদা, নজরুল ইসলাম, সরকারি কর্মচারী লাল মিয়া জানান, বর্তমান পরিস্থিতি ভালো। প্রথমবার দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার শিরীন বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারদলীয় লোকজন বিএনপির প্রার্থী ও ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু তিন দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল জোরদার করায় ভোটারদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম মোল্লা বলেন, একটু সমস্যা থাকলেও সবাই এখন নির্বাচনমুখী হয়েছে।
215,522
আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ ও মজিবর রহমান খান
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৫৬
২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:১০
সরকার,বাংলাদেশ
null
কলবেল চাপলেই ছুটে আসেন এসি ল্যান্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1412856
উপজেলা ভূমি কার্যালয়। লোকজনের জটলা। ভিড় ঠেলে এগিয়ে গেলেন মুনসেফ আলী। তিনি খাসজমি বিষয়ে পরামর্শ নেবেন। ঘণ্টা দুয়েক এ-টেবিল ও-টেবিল ঘুরে সন্তোষজনক পরামর্শ পেলেন না। ফিরে যাচ্ছিলেন। এমন সময় একটি বোর্ড নজরে আসে তাঁর। তাতে লেখা, ‘সেবা পেতে কোনো সমস্যা হলে নিচের বেলটি চাপুন, আপনার এসি ল্যান্ডকে ডাকুন।’ সাহস নিয়ে বেল চাপলেন মুনসেফ। সঙ্গে সঙ্গে এলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি (ল্যান্ড) সোহাগ চন্দ্র সাহা। কক্ষে ডেকে নিলেন মুনসেফকে। পরামর্শ দিলেন।কার্যালয়ে আসা সেবাপ্রার্থীরা বললেন, ভূমি কার্যালয়ে কাজ মানেই দালালের দৌরাত্ম্য। দিনের পর দিন হয়রানি। কর্মচারীদের অবজ্ঞার পাশাপাশি বাড়তি খরচ। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের চিত্রও একসময় তা-ই ছিল। কিন্তু এখন বদলে গেছে। বদলের পেছনের মানুষটি হলেন সোহাগ চন্দ্র সাহা।সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, একটা সময় ছিল, কর্মকর্তারা কক্ষে বসে বেল চাপতেন। বাইরে অপেক্ষমাণ সেবাপ্রার্থীরা এক এক করে কক্ষে ঢুকতেন। কর্মকর্তা তাঁর চেয়ারেই বসে থাকতেন। ঢোকার আগে অফিস সহায়কের কাছে অনুমতি নিতে হতো। এই কারণে সেবাপ্রার্থী ও সেবাদানকারীর মধ্যে একটা ফারাক সৃষ্টি হতো। তা দূর করতেই কলবেলের বোর্ড।সোহাগ চন্দ্র সাহা এই উদ্যোগের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে। ‘এসি ল্যান্ডের মাটির মায়া’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে রাজশাহীর পবা উপজেলার ভূমি কার্যালয়ের তৎকালীন এসি (ল্যান্ড) শাহাদত হোসেনের প্রায় একই রকম উদ্যোগের কথা ছাপা হয়েছিল। শাহাদত হোসেনের ভাবনার সঙ্গে নিজস্ব কিছু ভাবনা যোগ করার চেষ্টা করেছেন সোহাগ চন্দ্র সাহা।রানীশংকৈলের অভিজ্ঞতাসম্প্রতি রানীশংকৈল উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, পরিপাটি করে সাজানো ভূমি কার্যালয়। ভবনের বাইরে টবে নানা প্রজাতির ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। কার্যালয়ের মুখেই বোর্ডে নাগরিক সনদ টাঙানো। তাতে জমির নামজারি করতে কত টাকা লাগে, খতিয়ান তুলতে কত, খাসজমি বন্দোবস্ত নিতে করণীয়, কোন বিষয়ে কার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে—এসব তথ্য লেখা। বোর্ডের সামনে ‘সেবা টেবিল’ নামের একটি সহায়ক ডেস্ক। সেখানে একজন কর্মচারী সেবাপ্রার্থীদের তথ্য সহায়তা দেন। পাশের বাক্সে থরে থরে সাজানো নানা আবেদন ফরম। সেখান থেকে সেবাপ্রার্থীরা বিনা খরচে ফরম নিতে পারেন। কর্মচারীদের গলায় ঝুলছে পরিচয়পত্র। প্রতিটি কক্ষে ছোট সাদা বোর্ডে তাঁদের প্রতিদিনের কাজ লেখা। দিন শেষে এসি (ল্যান্ড) সেগুলো ধরে মূল্যায়ন করেন। কার্যালয়ের পেছনে রয়েছে সেবাপ্রার্থীদের বিশ্রামের জায়গা। দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজন সেখানে বিশ্রাম নেন।মহেশপুর গ্রামের হুমায়ুন কবীর বলেন, গত বছর তিনি জমির নামজারি করার জন্য বহুবার এসেও কাজ সারতে পারেননি। গত ১৩ নভেম্বর তিনি আবারও আসেন। এবার কার্যালয়ের অনেক পরিবর্তন নজরে পড়ে তাঁর। চোখে পড়ে কলবেলের বোর্ড। সেটি চেপে ধরেন তিনি। মুহূর্তেই তাঁর সামনে এসে দাঁড়ান এসি ল্যান্ড। তিনি হুমায়ুনের কথা শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে ডিসিআর (নামজারির পর দেওয়া বিকল্প রসিদ) রসিদ কেটে দিলেন।গত বছরের ২০ মার্চ সোহাগ চন্দ্র সাহা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার পদে যোগ দেন। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি রানীশংকৈলের ভূমি কার্যালয়ে। যোগ দেওয়ার পর দেখেন, কার্যালয়ে দালালের দল। কাজের জন্য কেউ এলেই পড়তেন এঁদের খপ্পরে। বিনা মূল্যের ফরমে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায় করতেন। এ অবস্থা দেখে সোহাগ চন্দ্র সাহা চালু করলেন ‘কলবেল সেবা’।সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, এখন কার্যালয়ের সব নথি ক্রমানুসারে সাজিয়ে প্রতিটির সঙ্গে ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে যেকোনো নথি এক মিনিটের মধ্যে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া নামজারি ও বিবিধ মামলার শুনানির তারিখ বাদী ও বিবাদীকে মুঠোফোনে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত দুই মাসে এক হাজারের বেশি সেবাপ্রার্থীকে প্রতিকার ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ সময় বিবিধ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ১০০টি। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরও ২৫টি মামলা।কার্যালয়ের চেইনম্যান নূরুল হুদা বলেন, আগে কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট না হলে সেবাপ্রার্থীরা এসি ল্যান্ডের কাছে যেতেন। এখন তাঁরা সরাসরি এসি ল্যান্ডের কাছে যান।সোহাগ চন্দ্র সাহা জানালেন, তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামে। অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে থেকেই তাঁর বেড়ে ওঠা। বিভিন্ন দপ্তরে কাজে গিয়ে এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের হয়রানি হওয়া দেখেছেন। ভূমি কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন সময় তাঁর বাবাকেও হয়রানির শিকার হতে দেখেছেন তিনি। সোহাগ চন্দ্র সাহা প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর বাবা ডেকে বলেছিলেন, ‘মানুষকে সেবাটা দিয়ো।’ এটাই তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়।জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আওয়াল গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সব উপজেলায় এ মডেল চালুর উদ্যোগ নেবেন।‘মাটির মায়া’ থেকে শুরু২০১৫ সালে রাজশাহীর পবা উপজেলা ভূমি আফিসের জনবান্ধব সেবা চালু করেছিলেন তৎকালীন সহকারী কমিশনার শাহাদত হোসেন। নিজের অফিসের নিচে একটি টিনের ছোট ঘর তৈরি করেছিলেন তিনি। সকালে এসে সেখানেই বসতেন, গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলতেন সরাসরি। তিনি এই ঘরের নাম দিয়েছিলেন ‘মাটির মায়া’। সমস্যা শুনে যেটার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব সেটা করে দিতেন। আর অন্যদের হাতে চিকিৎসকের মতো তুলে দিতেন একটি করে চিরকুট। তাতে তাঁর সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষাতের তারিখ লেখা থাকত। নির্ধারিত দিনে সেবাগ্রহীতা গিয়ে সেবা পেয়ে যেতেন।২০১৫ সালে প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় এ নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হলে সব ভূমি অফিসে এই উদ্যোগ চালুর বিশেষ উদ্যোগ নেন তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমেদ। সেই উদ্যোগ কতটা সফলভাবে চলছে, তা জানতে দৈবচয়ন ভিত্তিতে পাঁচটি উপজেলার ভূমি অফিসগুলো সম্প্রতি ঘুরে দেখা হয়।  পাঁচ উপজেলার অভিজ্ঞতাপাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সার্টিফিকেট পেশকার মকবুল হোসেন নামজারি ও বিবিধ মামলার নোটিশ বোর্ড আপডেট করছেন। হেল্প ডেস্কে বসে গেছেন মাবিয়া খাতুন। এসি (ল্যান্ড) শিমুল আকতার তাকাচ্ছেন পাশের ‘রাজস্ব আদালতের’ দিকে, কোনো সেবাগ্রহীতা এসেছেন কি না।ঈশ্বরদীর ‘রাজস্ব আদালত’-এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাটির ময়না’। সেদিন নামজারির কাজে এসেছিলেন মহাদেবপুর গ্রামের আকাল সরদার। তৎক্ষণাৎ বললেন, তিনি তাঁর সেবা পেয়ে খুশি।এসি (ল্যান্ড) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী পুঠিয়া উপজেলার ভূমি অফিসে যোগদান করার পর গত ১৯ অক্টোবর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে যেকোনো সেবার জন্য সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান। গত ২২ অক্টোবর পুঠিয়া ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, এসি (ল্যান্ড) নেই। কয়েকজন মানুষ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি রাজশাহীতে একটি সভায় আছেন। ফিরে এসে তাঁদের কাজ করে দেবেন। এই প্রতিবেদক ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। কাজ না হলে ফোন করে জানাতে বলেন। উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, বালাদিয়াড় গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও বিড়ালদহ গ্রামের আবদুর রহিম পরে ফোন করে জানান, সহকারী কমিশনার এসেই তাঁদের কাজ করে দিয়েছেন।রাজশাহীর দুর্গাপুর ভূমি অফিসে গিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভূমি অফিস থেকে দালাল দূর করতে গিয়ে তাঁদের এখন নিজের কাজ নিজেকেই করতে হচ্ছে। বাজুখলসি গ্রামের বাবলু বলেন, সব কাগজপত্র দেখে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হচ্ছে। এটা ভালো, তবে সব কাগজপত্র গোছাতে একটু সময় লাগছে। একই কথা বলেন শালবাড়িয়া গ্রামের সালাউদ্দিন। তবে তাঁরা বলেন, এখন দালালকে কোনো পয়সা দিতে হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার সমর পাল প্রথম আলোকে বলেন, তিনি অল্প দিন আগে এখানে যোগ দিয়েছেন। যাঁর কাজ তিনি তাঁকেই আসতে বলছেন, অন্য কারও হাত দিয়ে আসা মানেই সেখানে দালাল ঢুকে পড়তে পারে।  যে পবা ভূমি অফিস থেকে এই কার্যক্রম শুরু, সেখানে প্রায় চার মাস ধরে কোনো সহকারী কমিশনার নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির দায়িত্বে রয়েছেন। কয়েকজন সেবাগ্রহীতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাজ হচ্ছে। তবে আগের মতো একজন এসি (ল্যান্ড) দরকার।তবে বাঘা উপজেলার অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। গত ৫ অক্টোবর সেখানকার ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, হেল্প ডেস্কে ধুলা জমে রয়েছে। সহকারী কমিশনার জুবায়ের হোসেনকে তাঁর কার্যালয়ে পাওয়া যায়। জনবান্ধব সেবা কার্যক্রম চালু আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি অনেকক্ষণ বিষয়টি বুঝতেই পারছিলেন না। একপর্যায়ে বলেন, ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সেবাগ্রহীতা বলেন, এই অফিসে আবার দালাল ভিড়ে গেছে। দালাল ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না। টাকাও লাগছে বেশি।
352,115
সানাউল্লাহ সাকিব, ঢাকা
economy
অর্থনীতি
২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:১৬
০৭ মে ২০১৯, ১২:২৮
বাণিজ্য সংবাদ,প্রবাসী,প্রবাসী শ্রমিক
null
প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগের মুনাফা ১২% পর্যন্ত
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1591123
• ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মুনাফা ১২ শতাংশ• রয়েছে সিআইপি হওয়ার সুযোগ• মুনাফা আয়করমুক্ত• বন্ডের বিপরীতে ঋণ পাওয়া যায়ব্যাংকে টাকা রেখে বাংলাদেশের মতো এত মুনাফা উন্নত দেশগুলোতে পাওয়া সহজ নয়। তাই যাঁরা কাজের সুবাদে বা পারিবারিকভাবে বিদেশে অবস্থান করেন, তাঁরা টাকা জমানো নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তির মধ্যেই পড়েন। যদিও পরিশ্রম ছাড়াই বিদেশে বসে বেশি মুনাফা পাওয়ার সুযোগ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।বিদেশে অবস্থান করেন, এমন যেকোনো বাংলাদেশি চাইলেই প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ করে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা নিতে পারেন। এর সবই বাংলাদেশ সঞ্চয় অধিদপ্তরের চালু করা বন্ড। ১৯৮৮ সালে চালু হওয়া পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ২০০২ সালে চালু হওয়া তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড বিনিয়োগ করে এ সুবিধা পাওয়া যায়। মধ্যে অবশ্য ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব বন্ড বিক্রি বন্ধ ছিল।এমন তিন বন্ডে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগও করেছেন প্রবাসীরা। এতে বড় হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। একজন প্রবাসী কী পরিমাণ বন্ড কিনতে পারবেন, এ নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে প্রবাসী বন্ডে বেশির ভাগ বিনিয়োগই হাতে গোনা কয়েকজনের।এসব বন্ড পাওয়া যায় বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস, দেশি ব্যাংকের বিদেশি কোনো শাখা ও বাংলাদেশের ব্যাংক শাখায়। আবার এসব বন্ডে বিপরীতে দেশি ব্যাংক থেকে ঋণও পাওয়া যায়। বিনিয়োগকৃত অর্থ চাইলে আবার বিদেশেও ফেরত নেওয়া যায়। এসব বন্ডের বিনিয়োগ করে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যায়। আবার এই আয়ে করমুক্ত সুবিধাও মেলে।সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী সিরাজুল ইসলাম গতকাল টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে টাকা আয় করি, তার বড় অংশ পরিবারের জন্য বাংলাদেশে পাঠাই। কিছু টাকা জমিয়ে বন্ড কিনেছি। মুনাফার টাকায় দেশে কিছু করার চেষ্টা করছি।’সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড পাঁচ বছর মেয়াদি। এ বন্ডে ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যায় ১২ শতাংশ। প্রতি ছয় মাস অন্তর মুনাফা তোলার সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি ছয় মাসে মুনাফা না তোলে, তবে মেয়াদপূর্তিতে মূল অঙ্কের সঙ্গে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে ১২ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মুনাফা প্রদান করা হয়। আট কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করলে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রবাসী ছাড়াও এ বন্ড কিনতে পারেন বিদেশে লিয়েনে কর্মরত বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাঁরা বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন-ভাতা পান। মুনাফার হার বেশি হওয়ায় প্রবাসে অবস্থান করা বেশির ভাগই এ বন্ড ক্রয় করছেন।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব বন্ডের বড় ক্রেতা হিসেবে সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান, তাঁর ভাই ওলিউর রহমান, কাজী সরোয়ার হাবীব, মনির হোসেন প্রমুখ।ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড চালু তিন বছর মেয়াদি। এ বন্ডে ৫০০ ডলার থেকে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষে মুনাফা সাড়ে ৭ শতাংশ। প্রতি ছয় মাস অন্তর সরল সুদে মুনাফা তোলা যায়। তবে মেয়াদপূর্তির আগে বন্ড ভাঙতে চাইলে ১ থেকে দেড় শতাংশ সুদ কমে যায়।আর ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডও তিন বছর মেয়াদি। এতে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়। ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম এ নিয়ে বলেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য সরকারের তিন ধরনের বন্ড রয়েছে। ব্যাংকগুলো এ বন্ড বিক্রি করে। এর মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। প্রবাসীরাও লাভবান হচ্ছেন।
399,796
সুহাদা আফরিন
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জুলাই ২০১৬, ০১:৩৯
২৬ জুলাই ২০১৬, ০১:৪১
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
কোথায় শিখবেন সাঁতার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/925639
ঢাকায় সাঁতার শেখার জন্য সরকারি-বেসরকারি কিছু সুইমিংপুল আছে। নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে প্রশিক্ষকের অধীনে সাঁতার শেখা যায়আসমা হায়দার আট বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে এসেছেন ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। সাঁতার শেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়ির বড়দের কাছ থেকে পুকুরে সাঁতার শিখেছি। এখনকার বাচ্চাদের তো সেই সুযোগ নেই। এই সুইমিং পুলই এখন তাদের ভরসা।’গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই ক্রীড়া কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় কেউ সাঁতারের জন্য ঢুকছেন, কেউ বের হচ্ছেন। জেরিন খান পাশেই থাকেন। সাঁতার আগে থেকেই জানা ছিল। যেন ভুলে না যান, তাই তিনি এ মাসে ভর্তি হয়েছেন সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। নিয়মিত সাঁতার কাটেন। ঢাকায় সাঁতার শেখার জন্য পুকুর নেই, তবে সরকারি-বেসরকারি কিছু সুইমিং পুল আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে প্রশিক্ষকের অধীনে সাঁতার শেখা যায়।জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স, মিরপুর: পাঁচ বছর বয়স থেকে এখানে সাঁতার শেখানো হয়। রবি ও সোমবার বাদে প্রতিদিন খোলা। ভর্তি ফি আড়াই হাজার টাকা। পরের মাস থেকে দুই হাজার টাকা। ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। যোগাযোগ: ০১৯১২০৫৭৪৯৭।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিংপুল: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও এখানে সবাই সাঁতার শিখতে পারবে। সাত বছর বয়স থেকে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে অবশ্যই চার ফুট লম্বা হতে হবে। ভর্তি ফি ২ হাজার ১০ টাকা। পরের মাস থেকে এক হাজার টাকা। যোগাযোগ: ০১৭১৯৮৭৮৯৪৮।সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স: শুধু মেয়েদের জন্য। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সাঁতার শেখানো হয়। ছয়-সাত বছর বয়স থেকে ভর্তি করা হয়। ভর্তি ফি ৫০০ টাকাসহ প্রথম মাসে আড়াই হাজার টাকা। এরপর থেকে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা। যোগাযোগ: ৯১১৯৭০৪।বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সুইমিংপুল: এখানে শুধু ছেলেদের সাঁতার শেখার ব্যবস্থা আছে। সাত বছর বয়স থেকে ভর্তি করা হয়। প্রথম মাসে দুই হাজার টাকা দিতে হবে। পরের মাস থেকে দেড় হাজার টাকা। সপ্তাহে পাঁচ দিন শেখানো হয়। মঙ্গল ও বুধবার বন্ধ। যোগাযোগ: ০১৭১২৬০৪৯৫২।অফিসার্স ক্লাব: বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে পাঁচ বছর বয়স থেকে ভর্তি নেওয়া হয়। ১৬টি কোর্সে সাঁতার শেখানো হয়। ক্লাবের সদস্য না হয়েও এখানে সাঁতার শেখা যায়। ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা। তবে সাঁতারের পোশাকসহ ৬ হাজার ১০০ টাকা। ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। যোগাযোগ: ০১৯২৩৬২৫০৯৬।হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও: শুক্র থেকে সোমবার সপ্তাহে চার দিন সাঁতার শেখানো হয়। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য ভর্তি ফি সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। ১২ বছরের বেশি হলে সাড়ে ২১ হাজার টাকা। একই পরিবারের একাধিক সদস্য হলে দুই হাজার টাকা ছাড়। ছোটদের জন্য শুক্র-শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা এবং রোববার ও সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা। বড়দের জন্য রাত ৮টা থেকে ৯টা। যোগাযোগ: ৫৫০২৮০০৮।এ ছাড়া বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে সাঁতার শেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
243,525
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জুলাই ২০১৭, ০০:৪৯
১৮ জুলাই ২০১৭, ০০:৫০
গুরুদাসপুর,নাটোর
0
অবশেষে মেয়রের হস্তক্ষেপে টোল প্রত্যাহার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1255891
অবশেষে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড়হাট বাজার থেকে রড-সিমেন্ট, লৌহজাত, প্লাস্টিকজাত পণ্য, মেশিনারিজ সামগ্রীর ওপর থেকে টোল প্রত্যাহার করা হয়েছে। পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলীর হস্তক্ষেপে গতকাল সোমবার থেকে তা কার্যকর হয়েছে।টোল আদায় বন্ধের সিদ্ধান্তের পর পণ্য ব্যবসায়ীরা গত রোববার রাতে চাঁচকৈড় বাজারের মামুন এন্টারপ্রাইজে বিশেষ বৈঠকে বসেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাবেক সাংসদ আবুল কাশেম সরকার ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন চাঁচকৈড়হাট বাজার রড-সিমেন্ট ও লৌহজাত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি আলমগীর কবির, সহসভাপতি দিলীপ কুমার কর্মকার, সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, ব্যবসায়ী সংগঠনের উপদেষ্টা এমদাদুল হক মোল্লা প্রমুখ।কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টোল আদায় বন্ধ থাকার পর এ বছরের এপ্রিল মাস থেকে হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের কাছ থেকে এসব পণ্যসামগ্রীর টোল আদায় শুরু করে। এতে ক্রেতা কমে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। তাই ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেন। সর্বশেষ টোল আদায় বন্ধের দাবিতে ৯ জুলাই ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এ নিয়ে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
327,128
পটুয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ মে ২০১৫, ০২:০৭
১৬ মে ২০১৫, ০২:০৮
পটুয়াখালী,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা
0
গাছ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/529084
পটুয়াখালীর বাউফলের দাশপাড়া গ্রামে গতকাল সকালে নারকেলগাছ থেকে পড়ে তরিকুল ইসলাম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র মারা গেছে। তরিকুল এলাকার খেজুরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গ্রামের কাজী আলাউদ্দিনের ছেলে তরিকুল লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়িতে গাছ পরিষ্কারসহ ডাব-নারকেল পাড়ার কাজ করত। গতকাল সকাল সাতটার দিকে এলাকার বাবুর্চি বাড়িতে ডাব পাড়তে নারকেলগাছে ওঠে তরিকুল। একপর্যায়ে গাছ থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। বাউফল থানার ওসি আ জ ম মাকসুদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় বাউফল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
139,328
মো. আজিজুর রহমান
education
শিক্ষা
১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৪
১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৪
পড়াশোনা
0
গণিত
http://www.prothom-alo.com/education/article/425041
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরপ্রিয় পরিক্ষার্থী, আজ গণিতের অধ্যায়-১৫ থেকে ক্ষেত্রফল-সম্পর্কিত একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।ABC সমকোণী সমদ্বিবাহু ত্রিভুজে অতিভুজ BC এর ওপর P একটি বিন্দু। PN এবং PM যথাক্রমে AB এবং AC বাহুর ওপর লম্ব।প্রশ্ন:ক. তথ্যটিকে জ্যামিতিক চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করো। ২খ. প্রমাণ করো যে, PB2 + PC2 = 2 (PN2 + PM2) ৪গ. ABC ত্রিভুজের দুটি বাহু এবং ╨B নিয়ে সামান্তরিক অঙ্কন করো। (অঙ্কনের চিহ্ন ও বিবরণসহ) ৪উত্তর-ক:(জেনে রাখো: নির্দেশক-চিহ্ন ব্যতীত সমকোণী ত্রিভুজ অঙ্কন করতে পারলে ১ নম্বর পাবে।)উত্তর-খ:ABC সমকোণী সমদ্বিবাহু ত্রিভুজে, ╨ABC = ╨ACB = 45হ্ন এবংPMC সমকোণী ত্রিভুজে, ╨PCM = ╨MPC = 45হ্ন PM = MCআবার, PNB সমকোণী ত্রিভুজে ╨PBN = ╨BPN = 45হ্ন  PN = NBPMC সমকোণী ত্রিভুজে PC2 = PM2 + MC2 = 2PM2আবার, PNB সমকোণী ত্রিভুজে PB2 = PN2 + BN2 = 2PN2 PC2 + PB2 = 2 (PN2 + PM2)(জেনে রাখো: PC2 অথবা PB2 মান বের পারলে ৩ নম্বর পাবে।)PM = MC অথবা PN = BN নির্ণয় করতে পারলে ২ নম্বর পাবে।╨ABC এবং ╨ACB মান নির্ণয় করতে পারলে ১ নম্বর পাবে।উত্তর-গ:BE যেকোনো রেখা নিই। BE রেখার B বিন্দুতে BC বাহুর সমান করে BD অংশ কেটে নিই। BD রেখার B বিন্দুতে B কোণের সমান করে DBP কোণ আঁকি। BP থেকে AB বাহুর সমান করে BA অংশ কেটে নিই। A ও D বিন্দুকে কেন্দ্র করে যথাক্রমে BC ও AB বাহুর সমান করে DBA কোণের অভ্যন্তরে দুটি বৃত্তচাপ আঁকি। বৃত্তচাপদ্বয় পরস্পর C বিন্দুতে ছেদ করে। A, C এবং D, C যোগ করি। ABDC সামান্তরিক অঙ্কিত হলো।(জেনে রাখো: সামান্তরিকের বাহু ও কোণ থেকে সামান্তরিক চিহ্নিত ও অঙ্কন করতে পারলে ৩ নম্বর পাবে। সামান্তরিকের বাহু ও কোণ চিহ্নিত এবং অঙ্কন করতে পারলে ২ নম্বর পাবে। ত্রিভুজ থেকে সামান্তরিকের বাহু ও কোণ চিহ্নিত করতে পারলে নম্বর পাবে।)শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞজাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা
107,319
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৬ জুন ২০১৯, ১৫:৩৬
১৬ জুন ২০১৯, ১৫:৩৭
বাজেট,খবরাখবর
null
ই-কমার্সে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি বেসিসের
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1599462
অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাট আরোপ করলে ক্রেতা বিমুখ হবে। ই-কমার্স খাতে এখনো ভ্যাট আরোপের সময় আসেনি। আগামী পাঁচ বছর ই-কমার্স খাতকে ভ্যাটের আওতা মুক্ত রাখা হোক। জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০২০ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় দেশের সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এ কথা বলেন।আজ হার্ডওয়্যার খাতের সংগঠন বিসিএস, সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বেসিস, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) ও কল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন (বাক্য) যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। এতে বাজেট বিষয়ে সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়।বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বক্তারা বলেন, বাজেটে গত অর্থবছরের চেয়ে এ বছর ২১৭৬ কোটি বেশি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা দক্ষ জনবল তৈরি ও অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করলে সুফল পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশের ওপর মূসক অব্যাহতি ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি বরাদ্দ রাখার বিষয়টি ইতিবাচক। তবে বাজেটে ই-কমার্সসহ কয়েকটি খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার চান তাঁরা।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবারের বাজেটে সোশ্যাল মিডিয়া ও ভার্চ্যুয়াল ব্যবসায় সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের কথা বলা হয়েছে। দেশের ই-কমার্স খাতকে ভার্চ্যুয়াল ব্যবসার ভেতরে ফেলায় নতুন এ খাতটির অগ্রগতির জন্য তা বাধার সৃষ্টি করবে। এ খাতে তাই ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানান তারা। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি সেবার ওপর ৫ শতাংশ আরোপিত মূসক প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ওপর ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে। এ খাতে ডিউটি শূন্য করার দাবি জানায় আইএসপিএবি। এ ছাড়া এনটিটিএন সংযোগে ভ্যাট মওকুফের আহ্বান জানানো হয়।বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশে ও হার্ডওয়্যার পণ্যে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি প্রয়োজন। ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত মনিটরের ওপর মূসক প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যারকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
406,162
মাগুরা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ আগস্ট ২০১৫, ০৯:১৩
১৮ আগস্ট ২০১৫, ১১:২৪
খুলনা বিভাগ,অপরাধ,মাগুরা
null
‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক আসামি নিহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/605923
মাগুরায় ছাত্রলীগের গোলাগুলিতে মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ এবং এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আজিবর শেখ (৩৪) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।পুলিশের ভাষ্যমতে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর শহরের দোয়ারপাড়ের আল আমিন এতিমখানা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা সম্পর্কে মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন রায়ের দেওয়া ভাষ্য, ঘটনাস্থলে কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে বলে জানতে পারে পুলিশ। দিবাগত রাতে পুলিশ সেখানে গেলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে আজিবর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।আজিবর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছিলেন। তাঁকে গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়। আজিবরকে গ্রেপ্তারের খবর অস্বীকার করেন জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম এহসানউল্লাহ।নাম প্রকাশ না করে পুলিশের সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালী বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজিবরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে বলেন, লোকজনের জটলার মধ্য থেকে পুলিশ আজিবরকে টেনেহিঁচড়ে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।গত ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা খাতুন (৩৫) তলপেটে গুলিবিদ্ধ হন। মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ কন্যাশিশুর জন্ম দেন। গুলি পেটের শিশুকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলে। মা ও শিশু এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় নাজমার চাচাশ্বশুর মমিন ভুঁইয়া (৬৫) মারা যান।ওই ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়। তাঁদের মধ্যে আটজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গত মঙ্গলবার তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়।আরও পড়ুন:ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা গুলিবিদ্ধ
160,884
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫৮
২১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫৯
রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
চিকিৎসকের ভয়ে হাসপাতালছাড়া
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/835921
রোগী সুস্থ বোধ করছেন কিন্তু চিকিৎসক বলছেন, হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ‘রিং’ পরাতে হবে। অন্যথায় সমস্যা। এ অবস্থায় ছাড়পত্র না নিয়েই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন তিন রোগী। গত সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়া তিন রোগীর একজন ইতিমধ্যে অন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। ওই চিকিৎসক বলেছেন, রিং পরানোর প্রয়োজন নেই। ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চললেই হবে।সাধারণত এনজিওগ্রাম করে চিকিৎসক নিশ্চিত হন, রোগীর রক্তনালিতে কোনো ‘ব্লক’ আছে কি না। ব্লক ধরা পড়লে রিং পরানো হয়। অথচ এই চিকিৎসক এনজিওগ্রামের আগেই রিং পরানোর জন্য দরাদরি শুরু করেন বলে অভিযোগ।ওই চিকিৎসক হলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রইস উদ্দিন। এর আগেও ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম আলোয় তাঁকে নিয়ে ‘চিকিৎসার নামে প্রতারণা!’ শীর্ষক একটি সংবাদ ছাপা হয়। তখনো তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি রোগীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে রিং পরানোর চেষ্টা করেন। তাঁর কথায় রিং পরাতে গিয়ে রোগী মারাও গেছেন। আবার রিং না পরালে মুচলেকা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিতেও বাধ্য করেন তিনি।অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাসপাতালের বাইরে রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চিকিৎসক রইস উদ্দিনের যোগসাজশ রয়েছে। তিনি সেখান থেকে কমিশন পান।ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার পাঁচজন রোগীকে এনজিওগ্রাম করাতে নেওয়া হয়। প্রথম দুজনের এনজিওগ্রাম হওয়ার পরই রইস উদ্দিন বলেন, তাঁদের রক্তনালিতে ‘ব্লক’ রয়েছে। রিং না পরালে বিপদ। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। মানসিক চাপে পড়ে দুই রোগী সম্মতি দিলে তৎক্ষণাৎ তাঁদের রিং পরানো হয়। কিন্তু বাকি তিন রোগী এনজিওগ্রামের জন্য টাকা দিয়েও প্রথম দুজনের অবস্থা দেখে ছাড়পত্র না নিয়েই হাসপাতাল ছেড়ে পালান।এঁদের একজন হলেন মাজদার রহমান (৪০)। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামে। তাঁর বড় ভাই ছাবদার রহমান বলেন, এনজিওগ্রাম করানোর আগেই রইস উদ্দিন তাঁকে বলেন, তাঁর ভাইয়েরও রিং পরাতে হবে। এ জন্য ৮৫ হাজার টাকা লাগবে। এনজিওগ্রাম করানোর জন্য ওষুধও কেনা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ভাই সুস্থবোধ করায় তাঁরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে আসেন।ছাবদার রহমান বলেন, ছাড়পত্র নিতে হলে পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। তখন ফের ওই চিকিৎসকের ফাঁদে পড়তে হতে পারে—এই ভয়ে তাঁরা চলে এসেছেন।এখন অন্য একজন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়েছেন মাজদার রহমান। ওই চিকিৎসক ওষুধ দিয়েছেন। আর কিছু পরামর্শ মেনে চলতে বলেছেন। তাতেই ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।একইভাবে শাশুড়িকে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন চারঘাট উপজেলার স্কুলশিক্ষক ইউসুফ আলী। তিনি তাঁর শাশুড়ি আমেনা বেগমকে (৫৫) হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন।কথা হয় মাজদার রহমানের আত্মীয় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে তাঁরা মাজদার রহমানকে অন্য চিকিৎসক দেখিয়েছেন। তিনি রোগীকে ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।যোগাযোগ করা হলে রইস উদ্দিন বলেন, ‘ওরা (তিন রোগী) তো পরে করাবে বলে চলে গেছে।’ এনজিওগ্রাম করার আগেই রিং পরানোর জন্য দরদাম করার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, এটা তিনি করতে পারেন না।হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম বলেন, রইস উদ্দিনের তো এ রকম করার কথা নয়। তারপরও তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
222,288
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১২:৪৯
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৪:৪৯
আইন ও বিচার
0
শিক্ষকদের বাসে হামলার ঘটনায় দুই মামলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/316633
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবাসে ককটেল হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার রাতে মামলা দুটি করা হয়।হামলার ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ পাহারায় শিক্ষকদের বাস গেছে। তবে শিক্ষক ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল কম।হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রবিউল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়। হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুর আহমেদ বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেন। মামলাটিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আবু বকর সিদ্দিকুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকারসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ জানান, হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে শিবিরের পাঁচ কর্মীসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া রাতে ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু রামদা, কিরিচ ও ককটেল উদ্ধার করা হয়। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। ঘটনার সঙ্গে সত্যিকারে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়গামী দুটি বাসে ককটেল হামলায় শিক্ষকসহ ১৪ জন আহত হন। পুলিশ ও শিক্ষকদের অভিযোগ, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট আহ্বানকারী ছাত্রশিবিরের কর্মীরাই এ হামলা চালান। ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার এ ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে।
92,178
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৩১
০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৫৮
সম্মেলন,খালেদা জিয়া,আওয়ামী লীগ,রাজনীতি,বিএনপি,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
null
বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আছে আ.লীগ: ফখরুল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1587318
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কীভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে? শুধু বন্দুকের নলের জোরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সম্পূর্ণ করায়ত্ত করে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।আজ শনিবার দুপুরে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে কল্যাণ পার্টির চতুর্থ জাতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ চক্রান্তকারীদের সঙ্গে আপস করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তিনি বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে দীর্ঘকাল ধরে যারা চক্রান্ত করছে, তাদের সঙ্গে আপস করে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজকে আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে সম্পূর্ণ দূরে। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জোর করে ক্ষমতায় বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। সাময়িক সময়ের জন্য থাকা যায়, বিশ্বের ইতিহাস তাই বলে। তিনি বলেন, বিএনপি কখনো চক্রান্ত করে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী প্রায়ই বলে, বিএনপি চক্রান্ত করে ক্ষমতায় আসে। বিএনপি কোনো দিন চক্রান্ত করে ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপি প্রতিবার জনগণের সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। কখনোই পেছনের দরজা বা অসুস্থভাবে ক্ষমতায় আসেনি।বিএনপির কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়নি—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের এই মন্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ’ সরকারের প্রধান একটি ‘মিথ্যা’ কথা যদি বারবার বলেন, তা জনগণ বিশ্বাস করে। এ দেশের মানুষ সবাই জানে, বিএনপি নেতাদের ও খালেদা জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা মামলা, নাকি সত্য মামলা।বাংলাদেশের রাজনীতিকে কবর দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতিকে বিরাজনীতিকরণের অনেক আগেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। ১/১১-এর সময় যে সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, তা অসাংবিধানিক সরকার। আমরা এটাও জানি, আজকে যারা ‘অবৈধ’ ক্ষমতায় আছে, তারা দীর্ঘকাল আন্দোলন করে তাদের এনেছিল। তখনো আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গর্ব করে বলেছিলেন, ১/১১-এর সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। এসব কথা আমরা ভুলে যাইনি।’খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন চলতে পারেন না, কিছু খেতে পারেন না। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি তাঁকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। কিন্তু সরকার তাঁকে পিজি (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আমরা মনে করি না, সেখানে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হবে।’সম্মেলনের প্রধান আলোচক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, সেই গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের বাহন নির্বাচন। আমরা সবাই জানি, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন “২৯ তারিখ রাতে” হয়ে গেছে। এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়নি। ভোট দিয়েছে সরকারি কর্মচারী, আওয়ামী লীগের কর্মীরা এবং তাদের পাহারা দিয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব।’কল্যাণ পার্টির চতুর্থ সম্মেলনে আবারও দলটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন এম এম আমিনুর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব হয়েছেন নুরুন্নবী ভূঁইয়া। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এসব নাম ঘোষণা করে বলেন, ‘আমাকে চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত করায় দলের সব পর্যায়ের কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ আগামী ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।বিএনপির স্থায়ী যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমানসহ কল্যাণ পার্টির সদ্য বিদায়ী কমিটির বিভিন্ন পদের নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
396,800
-1
international
আন্তর্জাতিক
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:২৬
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:০৮
আরব বিশ্ব
null
সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ!
http://www.prothom-alo.com/international/article/47148
সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জোরালো বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন জাতিসংঘ অস্ত্র পরিদর্শকেরা। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এমনই আভাস দিয়েছেন গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের এক বৈঠকে।অস্ত্র পরিদর্শকেরা নিশ্চিত হয়েছেন যে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে। তবে কারা এ অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা নিশ্চিত করে অস্ত্র পরিদর্শকেরা বলেননি। আগামী সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনে জমা দেবেন জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকেরা। এ ছাড়া প্রতিবেদনটি সম্পর্কে তদন্তকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের তিন কূটনীতিকও একই পূর্বাভাস দিয়েছেন।তদন্ত প্রতিবেদনে এ হামলার জন্য সরাসরি সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীকে দায়ী করা না হলেও উল্লিখিত তথ্য-প্রমাণ থেকে সরকারই দায়ী—এমনই আভাস পাওয়া যায়। গত ২১ আগস্ট দামেস্কের উপকণ্ঠে এ রাসায়নিক অস্ত্র হামলা হয়।ফরেইন পলিসি ম্যাগাজিন জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনটিতে রয়েছে হামলাস্থলের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি-সম্পর্কিত বেশ কিছু জোরালো তথ্য-প্রমাণ। নিক্ষিপ্ত রকেট, গোলাবারুদ পরীক্ষাসহ মাটি, রক্ত এবং মূত্রের নমুনা পরীক্ষা থেকে পাওয়া প্রমাণে হামলার দায় সিরিয়া সরকারের বলেই জোরালো আভাস পাওয়া যাচ্ছে।একজন সুইডিশ বিজ্ঞানীর নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ তদন্ত দল গত মাসে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার তদন্ত করতে দামেস্কে যায়।জেনেভায় ‘গঠনমূলক’আলোচনা হচ্ছে: কেরিমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে তাঁর আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কেরি ও লাভরভের মধ্যে ওই আলোচনা শুরু হয়।এদিকে রাসায়নিক অস্ত্ররোধবিষয়ক চুক্তিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিরিয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, সিরিয়ার এই সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে, দামেস্ক সংকট সমাধানের ব্যাপারে আন্তরিক। রয়টার্স, বিবিসি ও সিবিসি।
16,511
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২০
১৯ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২২
দুর্ঘটনা,রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1023735
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় গতকাল শুক্রবার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও লালবাগ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।ডেমরার কোনাবাড়ী এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় শেফালী আকতার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।শেফালীর ছেলে শাহরিয়ার নাফিজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, ডেমরা কোনাবাড়ী ফার্মের মোড় এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি মাইক্রোবাস তাঁর মাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অন্যদিকে যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন জাকির হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। রাত আটটার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত সাড়ে ১০টায় তাঁর মৃত্যু হয়।মৃত জাকির হোসেনের ছেলে শাহিন জানান, যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাস তাঁর বাবাকে ধাক্কা দেয়। তাঁর ভাই হেমায়েতকে নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।লালবাগ গফুরা মসজিদের সামনে একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মো. শুভ (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। শুভ গাউছিয়া মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
266,739
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৯ মে ২০১৮, ২০:১৮
১০ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৪৭
মাশরাফি বিন মুর্তজা,ক্রিকেট,বাংলাদেশ ক্রিকেট
null
মাশরাফি চাইছিলেন দলে, কিন্তু ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাবে নেওয়া হয়নি জুবায়েরকে
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1485521
হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠা তামিম ইকবাল এক মাস পর আজ প্রথম ব্যাটিং করতে নামলেন। বিসিবি একাডেমি মাঠের মাঝ উইকেটে তাঁকে বোলিং করলেন জুবায়ের হোসেন। একাডেমির ছাউনিতে বসে দুজনের অনুশীলন দেখছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। একটা সময়ে উইকেটের সামনে চলে গেলেন মাশরাফি। না, তামিমের ব্যাটিং নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে নয়। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক দেখতে চাইছিলেন জুবায়েরের বোলিং।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একজন লেগ স্পিনারের প্রয়োজনীয়তা কতটা, সেটি তো দেখাই যাচ্ছে। আফগানিস্তান দলকে এখন সবাই সমীহের চোখে দেখে, দলটাতে একজন রশিদ খান আছেন বলে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে লেগ স্পিনারের শূন্যতা বহুদিনের। এই শূন্যতা পূরণে মাঝে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই জুবায়ের যেন ধূমকেতু হয়ে গেলেন!নিজেকে হারিয়ে খোঁজা জুবায়ের ক্যারিয়ার নিয়ে হয়তো নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। মাশরাফির উৎসাহে এক মাস ধরে তাঁকে নিয়মিত বোলিং অনুশীলন করতে দেখা যাচ্ছে বিসিবি একাডেমি মাঠে। জুবায়েরের চেষ্টা আর একজন লেগ স্পিনারের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে কদিন আগে মাশরাফি নির্বাচকদের অনুরোধ করেছিলেন, জুবায়েরকে একটা সুযোগ দিতে। কাল ঘোষিত ৩১ জনের বাংলাদেশ প্রাথমিক দলে জুবায়েরকে যে রাখা হবে না, সেটি নির্বাচকেরা আভাস দিয়েছিলেন আগেই। আজ ২৪ জনের যে বিসিবি হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল দেওয়া হয়েছে, সেখানেও পাঁচ বিশেষজ্ঞ স্পিনারের তালিকায় জুবায়ের নেই।গত ১১ মাসে যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন জুবায়ের। নির্বাচকেরা তাই এখনই কোনো দলে রাখতে চান না তাঁকে। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলছেন, জুবায়েরকে ডাকা হবে জাতীয় দলের অনুশীলনে। সেখানে বোলিংয়ে বিশেষ উন্নতি দেখলে তবেই তাঁর ব্যাপারে ভাববেন।নেট বোলার আর স্কোয়াডে থাকা বোলারের মধ্যে নিশ্চয়ই পার্থক্য আছে। অন্তত এইচপি দলে না থাকতে পেরে জুবায়ের বেশ হতাশ। তবে তাঁকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক যে যুক্তি দিয়েছেন, সেটি শুনে জুবায়ের নিজেই নিজেকে কাঠগড়ায় তুলবেন, ‘গতবারও ওকে এইচপিতে রেখেছিলাম। কিন্তু ওর কাছ থেকে কোনো ফল পাইনি। সে কোথাও খেলেনি। তবুও রেখেছিলাম। বিদেশ সফরেও পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কোচরা ওকে নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে। তবুও ওকে জাতীয় দলের অনুশীলনে ডাকব। যদি উন্নতি দেখি, তবে পরবর্তী সময়ে তাকে নিয়ে ভাবব।’
363,328
-1
sports
খেলা
১২ আগস্ট ২০১৪, ০১:১৩
১২ আগস্ট ২০১৪, ০১:১৪
খেলা
0
ফেল্প্স–সমাচার
http://www.prothom-alo.com/sports/article/288733
শেষ ইভেন্টটাও জিততে পারলেন না মাইকেল ফেল্প্স। অলিম্পিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৮টি সোনাজয়ী সাঁতারু পরশু যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার মিডলেতে দ্বিতীয় হয়েছেন রায়ান লোক্টির পেছনে থেকে। ২০১৬ রিও অলিম্পিককে পাখির চোখ করে গত এপ্রিলে সাঁতারে ফেরা ফেল্প্স অবশ্য পরশু আরভিনে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছেন। বছরের তৃতীয় সেরা (১ মিনিট ৫৬.৫৫ সেকেন্ড) সময়ে ইভেন্ট শেষ করেছেন। বছরের দ্বিতীয় সেরা সময় (১:৫৬.৫০) নিয়ে প্রথম হয়েছেন লোক্টি। প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম বড় প্রতিযোগিতায় চারটি ইভেন্টের দুটিতে দ্বিতীয় হয়েছেন ফেল্প্স, অন্য দুটিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম। এএফপি, রয়টার্স।
84,430
বগুড়া প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ আগস্ট ২০১৫, ২২:২০
১৯ আগস্ট ২০১৫, ২২:২২
আইন ও বিচার
0
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/607006
বগুড়ায় প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ও বগুড়ার ধুনট প্রতিনিধি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার মানহানির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। পরপর কয়েক দফা শুনানিতে বাদী হাজির না হওয়ায় আজ বুধবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবদুল্লাহ আল মামুন মামলাটি খারিজ করে দেন। সরকারি রাস্তার পাশে লাগানো গাছ কাটার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর ধুনট উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিক প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ও ধুনট প্রতিনিধি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ৫০০ ও ১০৯ ধারায় মানহানির মামলা করেন। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আবদুল লতিফ পশারী ববি প্রথম আলোকে বলেন, নুরুন্নবী তারিকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ করে ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর প্রথম আলোয় একটি সংবাদ ছাপা হয়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে নুরুন্নবী তারিক ১৫ নভেম্বর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদক ও ধুনট প্রতিনিধি মাসুদ রানাকে বিবাদী করে এ মামলাটি করেন। মামলা করার পর আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করলে বিবাদীরা জামিন নেন। এরপর প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদককে সশরীরে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিলেও ধুনট প্রতিনিধি মাসুদ রানা গত আড়াই বছর ধরে নির্ধারিত শুনানির তারিখে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বাদী কয়েক দফা উপস্থিত থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে আদালতের ধার্য তারিখে অনুপস্থিত থাকেন। এমনকি বাদী মামলা চালাবেন কি না, সেটিও আদালতকে অবগত করেননি। এ কারণ দেখিয়ে আদালত আজ মামলাটি খারিজ করে দেন।
161,124
-1
opinion
মতামত
৩০ মে ২০১৫, ০০:০৪
৩০ মে ২০১৫, ০০:০৪
সম্পাদকীয়:,মতামত
0
সরকারি চাল ক্রয়
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/540691
কুষ্টিয়ায় সরকারি খাদ্যগুদামের সম্ভাব্য চাল সরবরাহকারীদের কাছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা মোটা অঙ্কের কমিশন দাবি করেছেন বলে প্রথম আলোয় গতকাল যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাঁদের এই অদ্ভুত আবদারে চালকল মালিকেরা বিপদে পড়েছেন।স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা প্রথমে জেলা প্রশাসকের কাছে আবদার জানিয়েছিলেন যে তাঁদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল কিনতে হবে। কিন্তু জেলা প্রশাসক আইন ভেঙে কিছু করতে পারবেন না জানালে তাঁরা কেজিপ্রতি দুই টাকা করে কমিশন দেওয়ার জন্য চালকল মালিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলা থেকে এবার ২৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল কেনা হবে। কেজিপ্রতি দুই টাকা কমিশন দিলে সাড়ে চার কোটি টাকা দিতে হবে। চালকল মালিকেরাও নাকি আওয়ামী লীগ নেতাদের অন্যায় আবদার মেনে নিয়েছেন।কমিশনে আটকে আছে কুষ্টিয়ার চাল সংগ্রহএবার খোলাবাজারে ধান-চালের দাম কম হওয়ায় চালকল মালিকেরা সরকারের নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি করলে কেজিপ্রতি পাঁচ-ছয় টাকা লাভ হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতারা সেই লাভের গুড়ে ভাগ বসাতে চাইছেন। দেশের অন্যান্য স্থানেও যদি আওয়ামী লীগ নেতারা এ ধরনের আবদার তোলেন, তাহলে চাল ক্রয়কে কেন্দ্র করে কমিশন–বাণিজ্যের পরিমাণটি ভাবুন। এতে আওয়ামী লীগ নেতারা লাভবান হলেও ক্ষতির শিকার হবেন চালকল মালিক ও কৃষকেরা। দেশে আইনকানুন বলে কিছু থাকলে ক্ষমতাসীনেরা এভাবে কমিশন–বাণিজ্য চালাতে পারতেন না।বোরো মৌসুমে যাতে কৃষকেরা ধান–চালের ন্যায্য দাম পান, সেই উদ্দেশ্যে সরকার ধান–চাল ক্রয় কর্মসূচি নিয়েছে। কতিপয় দলীয় সুবিধাভোগীর কারণে সরকারের একটি ভালো উদ্যোগকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যায় না। কৃষক এমনিতেই উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পান না। কৃষকবান্ধব বলে পরিচিত সরকারের আমলে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য থেকে যাঁরা ফাউ বা কমিশন খাওয়ার পাঁয়তারা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বন্ধ হোক কমিশনবাজি।
143,326
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২৯
২১ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২৯
বিশাল বাংলা
0
৪১ কৃষককে বীজ সহায়তা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1024971
সাতক্ষীরা বীজ ব্যাংক ও প্রস্তাবিত কৃষি হাসপাতাল থেকে বীজ সহায়তা পেয়েছেন ৪১ জন কৃষক। তাঁদের মধ্যে গতকাল রোববার সরিষা, মসুরির ডালসহ বিভিন্ন বীজ বিতরণ করা হয়। তুজলপুর কৃষক ক্লাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেন বলেন, বীজ কৃষকের অধিকার। কিন্তু তাঁদের হাতে বীজ থাকে না; থাকে বহুজাতিক কোম্পানির হাতে। তাই এই ব্যাংকে সাতক্ষীরা অঞ্চলের সব ধরনের বীজ সংরক্ষণ করা হচ্ছ। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান বলেন, এখান থেকে বিনা মূল্যে কৃষকদের বীজ দেওয়া হয়। শর্ত একটাই: ফসল কর্তনের পর সমপরিমাণ বীজ ফেরত দিয়ে যেতে হবে।
267,310
সিনহুয়া
international
আন্তর্জাতিক
০৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:৪২
০৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০৩:০৭
আরব বিশ্ব
null
সৌদি রাজপ্রাসাদে বিক্ষোভ ১১ প্রিন্স গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/international/article/1403061
সৌদি আরবের রিয়াদে রাজকীয় প্রাসাদে বিক্ষোভের কারণে ১১ জন প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী প্রিন্সদের প্রথমে রাজপ্রাসাদ থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সরতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাজপ্রাসাদের সূত্র স্থানীয় একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।সূত্র জানায়, সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ নতুন নির্দেশনা জারি করেছেন যে, সরকার এখন থেকে আর প্রিন্সদের বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ করবে না। প্রাসাদে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন প্রিন্সরা। এ ছাড়া তাঁরা গত বছর হত্যার দায়ে এক প্রিন্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি করছিলেন। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে।এদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের সমালোচনা করায় এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির দৈনিক আল-ওয়াতান-এর নিয়মিত কলাম লেখক সালেহ আল-সেহিকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হলেও তা প্রকাশ পায় পরে।এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে আল-সেহিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস। তারা সরকারের সমালোচনা করলেই গ্রেপ্তার করা হবে, এমন ধারা থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি।সম্প্রতি দেশটিতে রাজপরিবারের অনেক সদস্য, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, শীর্ষ ধনকুবেরদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের বিলাসবহুল হোটেলে বন্দী রাখা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। অনেককে পরে সম্পদের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।অভিযোগ রয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে নিজের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছেন।
350,620
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৮ আগস্ট ২০১৩, ০১:১৬
১৮ আগস্ট ২০১৩, ০১:২০
টেলিভিশন,বিনোদন
0
টিভির পর্দায়
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/40049
বাংলাদেশ টেলিভিশনসন্ধ্যা৬-১০ মালঞ্চ।৬-৩৫ লবির রান্নাঘর।৭-১৫ তেরো পাতার বুদ্ধি।৮-৪৫ বরফের পাথর।৯-০৫ সঙ্গী।।১০-২৫ দিন যায় কথা থাকে।১০-৫০ জীবনের গল্প।এটিএন বাংলাসন্ধ্যা৬-১৫ সুস্থ থাকুন।৮-০০ কবুলিয়তনামা।৮-৪০ গোল্ডেন রেসিপি।৯-২০ ডিবি।১০-৫৫ স্ক্যান্ডাল।১১-৩০ বৈরী বাতাস।চ্যানেল আইবেলা২-৩০ ঘরে ঘরে গানের উৎসব।৫-৩০ ছায়া ঝংকার।৬-০০ রূপান্তর।৬-২০ মন ও চোরাগলি।৭-৫০ নূরজাহান।৯-৩৫ প্রবাসে পরবাসে।১১-৩০ প্রকৃতি ও জীবন।একুশে টিভিসন্ধ্যা৬-৩০ দেশজুড়ে।৭-৫০ সিনে হিটস।৮-২০ ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট।৯-৩০ চতুরঙ্গ।১০-১০ মেঘের খেয়া।এনটিভিসন্ধ্যা৬-১৫ শুভসন্ধ্যা।৬-৪৫ রুপালি পর্দার গান।৮-১৫ অঘটনঘটনপটীয়সী।৯-০০ সেই তো এলে ফিরে।১১-৩০ মিউজিক জ্যাম।দেশ টিভিসন্ধ্যা৬-৩০ সংস্কৃতি সারা দেশ।৭-৪৫ ট্রিবিউট দ্য লিজেন্ড।৯-৪৫ রেডিও চকলেট রিলোডেড।১০-৩০ শুভবিবাহ।১১-৪৫ সোজা কথা।আরটিভিসন্ধ্যা৭-৩০ থানার নাম শনির আখড়া।৮-১৫ জোনাকবালা।৯-০৫ অলসপুর।৯-৫০ ধ্রুপদি কাহিনি।১১-২০ আওয়ার ডেমোক্রেসি।বাংলাভিশনসন্ধ্যা৬-০৫ এবং ক্লাসের বাইরে।৬-৩০ পিকেএসএফ।৮-১৫ লেডিস ফার্স্ট।৯-০৫ রেড সিগন্যাল।১১-২৫ বিজনেস ভিশন।বৈশাখী টিভিসন্ধ্যা৬-১৫ গুপ্তধন।৮-০০ বড় বাড়ির ছোট বউ।৮-৩৫ স্পট লাইট।৯-২০ অগ্নিপথ।১১-০০ সংঘাত।১১-৩০ পাথরের কান্না।মাছরাঙা টেলিভিশনসন্ধ্যা৬-৩০ বিনোদন সারা দিন।৭-৩৫ খেলার মাঠে।৮-০০ বিল্টুমামা।৮-৪০ ক্ষণিকালয়।৯-২০ মা।১১-০০ টেলিকুইজ।চ্যানেল নাইনসন্ধ্যা৭-০৫ রঙ ভুবনের নাও।৭-৪০ গ্রন্থিকগণ কহে।৮-২৫ নাগরিক।৯-১০ কবির লড়াই।১০-২০ গেম।১১-০০ ক্লাব নাইন।জি টিভি (গাজী টিভি)সন্ধ্যা৬-৩০ আয়োজনে আমন্ত্রণে।৮-১০ পয়মন্ত।৮-৫৫ রূপমাধুর্য।৯-৩৫ মায়া।১১-০০ বিজনেস টক।এশিয়ান টিভিসন্ধ্যা৬-৩০ ব্যান্ড শো।৭-৩০ মিডিয়া বিতর্ক।৮-৩০ জীবন সংসার।৯-৩০ সেকেন্ড ইনিংস।১০-৩০ আঁখি আলমগীর ও স্বপন বসুর গান।এসএ টিভিসন্ধ্যা৭-৩৫ সন্ধ্যার মেঘমালা।৮-০০ সেলিম আল দীন স্মরণে।৮-৩০ আগুনপোকা।৯-০০ ইনসাইড টিউন।৯-৩০ কেউ কেউ মৃত জোনাকি।১১-০০ গ্লিটারজ।
10,133
ময়মনসিংহ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ মার্চ ২০১৬, ০০:০৭
৩০ মার্চ ২০১৬, ০০:০৮
ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,মহানগর,দুর্ঘটনা
0
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/813868
ময়মনসিংহ শহরের সি কে ঘোষ রোড এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে জয়ন্তী রাণী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। জয়ন্তী ময়মনসিংহ শহরের ডি বি রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়ন্তী রাণী প্রতিদিন সকালে হাঁটতেন। গতকাল সকালে হাঁটার সময় সি কে ঘোষ রেলক্রসিং-সংলগ্ন এলাকা ধরে হেঁটে স্টেশনের দিকে আসছিলেন। এ সময় পেছন থেকে জামালপুরগামী একটি ট্রেন এলেও তিনি শুনতে পাননি। এ জন্য ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি আবদুল আহাদ খান বলেন, নিহত জয়ন্তী রানী কানে কম শুনতেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
215,582
নেয়ামতউল্যাহ, ভোলা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:৩০
২৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:৩০
ভোলা,বরিশাল বিভাগ,আইন ও বিচার
null
ভোলায় প্রতি পাঁচ দিনে একটি ধর্ষণ মামলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1416546
♦ প্রতি ৮ ঘণ্টায় একটি নারী নির্যাতন মামলা♦ এক বছরে হত্যা মামলা ৩০♦ নারী হত্যা মামলা ১৫♦ অপমৃত্যু মামলা ৭০টি২০১৭ সালে ভোলায় প্রতি পাঁচ দিনের মাথায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি আট ঘণ্টায় একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। ওই বছর হত্যা মামলা হয়েছে ৩০টি। নিহত ৩০ জনের মধ্যে ১৫ জনই নারী। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে ৭০টি, যার অধিকাংশই পারিবারিক কলহের শিকার।গেল বছরের মতো চলতি বছরের শুরুতেও নারী নির্যাতনের একাধিক খবর পাওয়া গেছে। জানুয়ারি মাসে প্রায় ২০টি নারী নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে একটি হত্যা ও তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা রয়েছে। এসব তথ্য আদালত, প্রশাসন ও থানা সূত্রের।মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে থানায় ৭০টি ধর্ষণ মামলা, ১৬৪টি নারী নির্যাতন মামলা, ৩০টি হত্যা মামলা ও ৭০টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আদালতের তথ্যমতে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০১৬ সাল শেষে অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৮২টি। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৫৫টি মামলা হয়েছে। গেল বছর নিষ্পত্তি হয়েছে ২৬৭টি মামলা। অতিরিক্ত জজ আদালতে বদলিহয়েছে ৪৬২টি মামলা। বর্তমানে ৩ হাজার ২৪৭টি মামলা চলমান রয়েছে। ২০১৭ সালে নারী নির্যাতনের কারণে হত্যা মামলা হয়েছে ১৫টি।ভোলার কমপক্ষে ২৫ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোলার প্রতি ইউনিয়নে মাসে কমপক্ষে ২০০-২৫০টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ৮০ শতাংশ মামলায় ইউপির চেয়ারম্যান-সদস্যরা সমঝোতা করার চেষ্টা করেন; যার মধ্যে ধর্ষণ মামলাও রয়েছে। আদালত ও থানায় ২০ শতাংশ ঘটনায় মামলা হয়।জনপ্রতিনিধি ও সালিসকারীদের ভাষ্য, শিশুরা ১০-১১ বছর বয়সে মুঠোফোনে ইন্টারনেটে এমন কিছুর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে, যা তার হওয়ার কথা না। এ পরিচিত হওয়ার মাধ্যমে শিশুকে অপরাধের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট ও ইভ টিজিংয়ের কারণে মেয়েশিশুরা প্রতারণার শিকার হয়। অসময়ে ছেলেমেয়ের প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে। একপর্যায়ে ছেলেটি সরে গেলে মেয়েটি ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করছে। গ্রাম্য সালিস ও জনপ্রতিনিধিরা এ ধরনের ঘটনা পেলে বিয়ে পড়িয়ে দেন।জনপ্রতিনিধিরা আরও জানান, জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা কমই হয়, এটি পরিবার চেপে যায়, নইলে গোপন সালিসে জরিমানা করে ছেড়ে দেন জনপ্রতিনিধিরা।ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বলেন, মুঠোফোন ও ইভ টিজিংয়ের কারণে মা–বাবার কাছে ১০-১২ বছরের পরে মেয়ে অনিরাপদ হয়ে পড়ে। ফলে বাল্যবিবাহ দিতে বাধ্য হয়। নানা কারণে এসব বিয়ে টেকে না।ইয়ানুর রহমান আরও বলেন, তিনি ও তাঁর পরিষদ প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০টি এ রকম পারিবারিক কলহ, নারী নির্যাতনের ঘটনার সালিস করে। স্বামীরা অনৈতিক সম্পর্ক, জুয়া ও নেশায় টাকা নষ্ট করায় সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। স্ত্রীর ওপর নির্যাতন তখনই শুরু হয়।ভোলা জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ভোলার বেশির ভাগ মানুষ জেলে এবং খেটে খাওয়া শ্রমিক। তারা স্বাবলম্বী না হয়ে নাবালক অবস্থায় যৌতুক নিয়ে বিয়ে করছে। মেয়ের বাবাও মেয়েকে লেখাপড়া না শিখিয়ে যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিচ্ছেন। প্রথম দু-এক বছর সংসার ভালোই চলে, যখনই স্বামীর পকেটে টান পড়ে, তখনই সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। সেই কলহ থেকে নির্যাতন, হত্যা, আত্মহত্যাসহ নানা রকম ঘটনার সৃষ্টি হয়।ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, মুঠোফোন-ইন্টারনেট ও ইভ টিজিংয়ের কারণে বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ বাড়ছে, এটা সত্য। তবে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে জাতীয় পর্যায় থেকে। ইন্টারনেটে ফিল্টারিং করতে হবে। কোন কোন বিষয় ইন্টারনেটে থাকবে, কোন বিষয় থাকবে না, তা কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। লেখাপড়ার মান অবনতির কারণও এ অনিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট।মোহাং সেলিম উদ্দিন আরও বলেন, জনসচেতনতা ও শিক্ষার হার বাড়াতে হবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে যেসব কমিটি আছে, সেগুলোকে সক্রিয় হতে হবে। কারণ, ধর্ষণের আগেও ধর্ষণের আলামত ইভ টিজিং হচ্ছে। সমাজসংস্কারকেরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে বখাটেরা ভয় পাবে। বাল্যবিবাহ, ইভ টিজিং ও নারী নির্যাতন বন্ধে এবং সুশিক্ষিত জাতি গড়তে বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ খুবই জরুরি।
352,762
দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:০৫
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:১১
আমার চট্টগ্রাম
0
ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের আহ্বান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/48480
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) পক্ষের সমর্থক পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) ২০তম উপজেলা ও ১৭তম কলেজ শাখা সম্মেলন এবং ছাত্রসমাবেশ ১৫ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি জ্ঞান চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রূপায়ণ দেওয়ান। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ধর্মবীর চাকমা, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নবকোমল চাকমা, জেলা শাখার ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক প্রত্যয় চাকমা, কেন্দ্রীয় সভাপতি অংসান থুই মারমা প্রমুখ।সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের জন্য পিসিপির জন্ম। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার তাঁদের বাঙালি বানিয়েছে। সংশোধনী এনে তাঁদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। বক্তারা অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান।সমাবেশ শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে সোনামনি চাকমাকে সভাপতি, হিজল চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও বিবেক চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্যের উপজেলা কমিটি এবং আলো বিকাশ চাকমাকে সভাপতি, অভয় চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও বাস্তব চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্যের কলেজ কমিটি গঠন করা হয়।
17,890
বিশেষ প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ মার্চ ২০১৫, ০১:৫৪
৩০ মার্চ ২০১৫, ০২:০০
চট্টগ্রাম বিভাগ,সিটি নির্বাচন,রাজনীতি
null
নিজের জন্য নাছির, নাছিরের জন্য মন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/490093
মনোনয়নপত্র দাখিলের ১২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগসমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নগরের হালিশহরে মতবিনিময় সভায় তিনি নিজের পক্ষে এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দল-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন বলে সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে তা নিশ্চিত করেছেন।নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হালিশহরের সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আ জ ম নাছির মেয়র নির্বাচিত হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগর থেকে জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। আগের মেয়র মনজুর আলম ওয়াদা করে ভোট নিয়ে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যর্থ হয়েছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে নাছিরকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।সন্দ্বীপবাসীর সহযোগিতা চেয়ে চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচন করা আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আপনারা আমাকে মেয়র নির্বাচিত করলে শতভাগ সততার সঙ্গে করপোরেশন চালাব। মেয়র হলে আমার প্রথম কাজ হবে জলাবদ্ধতা দূর করা। এই চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরে পরিণত করতে আপনারা আমাকে মেয়র নির্বাচিত করবেন।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারবিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, যেহেতু অস্থির সময়ে নির্বাচন হচ্ছে, তাই আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের এখনই প্রার্থীদের সতর্ক করে দেওয়া উচিত। তা না হলে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলে এ ধরনের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ‘চট্টগ্রামস্থ সন্দ্বীপবাসী’ হালিশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা, মহেশখালীর সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক সারওয়ার হাসান জামিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপবাসীর আহ্বায়ক ইউসুফ তালুকদার। মতবিনিময় সভার অন্যতম আয়োজক সারওয়ার হাসান জামিল প্রথম আলোকে জানান, মতবিনিময় সভায় আ জ ম নাছিরকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তিনিও ভোট চেয়েছেন, যাতে মেয়র হয়ে সন্দ্বীপবাসীর কষ্ট দূর করতে পারেন। চেম্বারের এই পরিচালক জানান, চট্টগ্রাম নগরে সন্দ্বীপের এক লাখের বেশি ভোটার রয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগ হালিশহরে থাকেন।
127,114
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২০:২০
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২০:৫০
রাজনীতি
null
৫০ গজের মধ্যে গণজাগরণ মঞ্চের দুই পক্ষের সমাবেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/330757
শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের দুটি পক্ষ পৃথক সমাবেশ করেছে। মাত্র ৫০ গজের মধ্যে দুই পক্ষের সমাবেশের কারণে কোনো পক্ষের বক্তার বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি শ্রোতারা। পৃথক দুটি সমাবেশের মাইকের তীব্র শব্দে অনেককেই কানে আঙুল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।পৃথক সমাবেশ হলেও দাবি ছিল প্রায় একই। মঞ্চের ইমরান এইচ সরকার পক্ষটি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে টালবাহানার প্রতিবাদে গণসমাবেশ করেছে। অন্যদিকে কামাল পাশার অংশটি যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। ইমরান এইচ সরকারের সমাবেশে কয়েক শ লোক ছিলেন। আর কামাল পাশার সমাবেশে ছিলেন ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক। তবে গণমাধ্যমের ক্যামেরাগুলো ইমরানের অংশের সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিল বেশি। কামাল পাশা অংশের সমাবেশে লোক তেমন না থাকলেও দুটি মাইক ইমরান এইচ সরকারের সমাবেশের দিকে মুখ করে রাখা ছিল। ফলে কামাল পাশার সমাবেশের বক্তব্য সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু শোনা গেলেও ইমরানের সমাবেশের কারও বক্তব্যই প্রায় শোনা যাচ্ছিল না।শাহবাগে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, হাতাহাতিতে আহত ৭আগামী ১৯ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে মঞ্চের গণপদযাত্রাসন্ধ্যায় সমাবেশের শেষ বক্তা হিসেবে সংগঠনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর গণজাগরণ মঞ্চের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে ১৯ অক্টোবর তাঁরা ছয়টি দাবিতে আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন। তাঁদের দাবির মধ্যে আছে, যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান বাতিল, সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করা ও জামায়াত নিষিদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি জানান, এখন থেকে সম্মেলন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁরা সারা দেশে জাগরণযাত্রা ও কর্মী সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাবেন।গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের পেটাল পুলিশ, আহত ১০ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে সরকার। কিন্তু এটা হতে দেওয়া হবে না। তিনি নাম উল্লেখ না করে কামাল পাশা অংশের সমাবেশের সমালোচনা করে বলেন, তাঁরা এক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি দিয়েছেন। তখন অন্য কারও কর্মসূচি ছিল না। এখন হঠাৎ করে মাইক এনে বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি বলেন, অনেকেই এখন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন।অপর অংশের নেতা কামাল পাশা সমাবেশে বলেছেন, তাঁরা ঈদের পর গণজাগরণ মঞ্চের কমিটি গঠন করবেন। এখন মঞ্চের কোনো কমিটি নেই। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায়ে কাজ করছেন। তাঁদের কোনো অংশ নেই। সবাই মঞ্চের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
96,468
মোহাম্মদ কায়কোবাদ
opinion
মতামত
২০ জুলাই ২০১৭, ০০:১০
২০ জুলাই ২০১৭, ০২:৪৭
মোহাম্মদ কায়কোবাদ,লেখকের কলাম
null
চাই কম্পিউটারের পূর্ণ ব্যবহার
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1258071
নানা দেশ ভ্রমণ করে আমার এই ধারণা জন্মেছে যে বিশেষ করে, আমাদের মতো সীমিত সম্পদের দেশে অনেক কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে কম্পিউটার সরঞ্জামাদি কিংবা সফটওয়্যার কেনায় আমাদের অনেক আগ্রহ থাকলেও তার পরিপূর্ণ ব্যবহারে আমরা আন্তরিক নই। প্রতিবছর হাজার হাজার কম্পিউটার কেনা হয় এবং তার অধিকাংশেরই যথাযথভাবে ব্যবহার হয় না। দেশের মূল্যবান সম্পদ অবহেলায় নষ্ট করার সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য আমি শঙ্কিত হই।আমরা জানি, একটি কম্পিউটারের যোগ্য ব্যবহার হাজার মানুষের শ্রমকে অপ্রয়োজনীয় করে ফেলতে পারে। একে তো দেশে বেকার মানুষ প্রচুর, তার ওপর তাদের কাজ কম্পিউটার দিয়ে করালে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে, তা-ই তো স্বাভাবিক। তবে শুধু মানুষের কাজগুলো করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহারে কোনো বাহাদুরিও নেই। বরং যেসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমাদের সিস্টেমের উন্নয়ন ঘটাবে এবং যে কাজগুলো সম্ভবত কম্পিউটার ছাড়া শুধু মানুষ দিয়ে করা অসম্ভব, সেগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে করে সীমিত সম্পদের জুতসই ব্যবহারে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়াই হবে কম্পিউটারের যোগ্য ব্যবহার।আমরা ব্যাংকে কম্পিউটার ব্যবহার করব শুধু টাকা জমা এবং ওঠানোর পর অ্যাকাউন্টে কত টাকা রইল তা বের করার জন্য নয়, বরং আমানতকারীদের ব্যয়ের ধরন বের করে ব্যাংকের গচ্ছিত মূলধনের সর্বোত্তম বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য এবং আকর্ষণীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে আমানতকারীদের সঞ্চয়ী হতে উৎসাহিত করার জন্য। বর্তমানে দেশে বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক খেলাপি ঋণে জর্জরিত। ব্যাংকের এই দুরবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সরকারও বেশ উদ্বিগ্ন। কোন প্রকল্পে অর্থায়ন করা যাবে, কাকে ঋণ দেওয়া যাবে, তা সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ব্যাংকগুলো যদি সম্ভাব্য ঋণখেলাপি সৃষ্টি নিরুৎসাহিত করতে পারত, তাহলে কম্পিউটারাইজেশনের সুফল পাওয়া যেত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি। আমরা প্রতিবছর নিয়মিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সুবিধাবঞ্চিত চাকরিজীবীদের রেমিট্যান্স ও পোশাকশিল্পের বঞ্চিত শিল্পীদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে দামি কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, বিদেশি সফটওয়্যার কিনছি এবং নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মানের বেতন ও পরামর্শ ফি দিয়ে বিদেশিদের নিয়োগ করছি কিন্তু সেই বিশ্বমানের সফটওয়্যার আর পরামর্শক আমাদের কোনো সুফল দিতে পারছে না।রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের মায়ের মোবাইল অ্যাকাউন্টে যাতে সরাসরি চলে যায়, এর জন্য প্রগতি সিস্টেম লিমিটেডের কারিগরি সহায়তায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি হয়েছে। এই উপবৃত্তির কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৬০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮০ হাজার গ্রাম, ১ কোটি মা এবং ১ কোটি ৩০ লাখ শিশু। প্রতিবছর ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পৌঁছে যাবে মায়েদের হাতে তাঁদের জন্য বিনা পয়সায় তৈরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এরই মধ্যে শুধু ডিজিটাল ডেটাবেইস তৈরির ফলে মায়েদের নামে অন্যায়ভাবে সুবিধা নেওয়ার সংখ্যা ১৫ শতাংশ কমে গেছে। এই টাকা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত, অর্থনৈতিকভাবে কম অগ্রসর অধিকসংখ্যক পরিবারকে উপবৃত্তির আওতায় আনা যাবে।আমরা জানি, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দেশের নারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষমতায়নসহ উদ্যোক্তার ভূমিকায় আবির্ভূত হচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে এখন অর্ধেক মানুষ আর নীরব অসহায় দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকছে না। ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পসমূহ, পোশাক খাত যেমন নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে, মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির অর্থ নারীর ক্ষমতায়নের এমনই আরেকটি কার্যকর উদাহরণ। প্রগতির তৈরি করা সিস্টেমের মাধ্যমে সারা দেশের কোটি মায়ের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব, তাঁদের নানা তথ্য মুহূর্তের মধ্যেই জানা সম্ভব। মায়েরা এই অ্যাকাউন্ট থেকে শুধু টাকা তুলবেনই না, বরং টাকা সঞ্চয়ও করবেন, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবেন। মায়েদের যে ডেটাবেইস তৈরি হয়েছে, তাতে ডেটা মাইনিং করে কত রকম তথ্যও যে বের হয়ে আসবে, তা কেবল সময়ই বলে দিতে পারবে। এর ফলে সরকারের বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মহাকর্মযজ্ঞ আরও কার্যকর হবে। বছরে আমাদের ৩৫ কোটি পাঠ্যপুস্তক লাগবে, না ৩০ কোটি, এখন আমরা এমনকি এই উপবৃত্তির তথ্যভান্ডার থেকে বলে দিতে পারব। প্রতিটি পুস্তক তৈরিতে যদি ৩০ টাকা খরচ হয় এবং ৫ কোটি পুস্তক কম তৈরি করতে হয়, সেখানেও কিন্তু ১৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই সিস্টেমের ব্যবহারে এবং উন্নয়নের ফলে আগামী দিনগুলোতে কত রকম তথ্য, উপাত্ত ও পরিসংখ্যান বের হয়ে আসবে এবং তা আমাদের পরিকল্পনা করতে কাজে আসবে, তা এখনো আমরা কল্পনা করতে পারি না।আমরা ইতিমধ্যে বিদেশি সফটওয়্যার ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতেই বড় মাপের সাইবার হামলার শিকার হয়েছি। সাইবার নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই বিষয়ে নিজস্ব প্রযুক্তি, সক্ষমতা ও লোকবল তৈরি করা। এই কর্মকাণ্ডে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবেএক কোটি মায়ের অ্যাকাউন্ট খোলা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। রূপালী ব্যাংকের জন্যও এটি একটি বড় পদক্ষেপ। কারণ, আগে এই ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা ছিল প্রায় ৩৩ লাখ। আর এখন সংযোজিত হলো আরও ১ কোটি। অর্থাৎ গ্রাহকসংখ্যা ৩০০ শতাংশ বেড়ে গেল। মায়েদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে নিশ্চয়ই শুধু উপবৃত্তির টাকা জমা নয়, অন্য কাজেও তা ব্যবহার করতে পারবেন। নারীর ক্ষমতায়নে এই অ্যাকাউন্ট বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই ডেটাবেইস তৈরি করার জন্য এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণভাবে এ দেশের ছেলেমেয়েরা তৈরি করেছে। এ জন্য আমাদের বিদেশ থেকে লাখ লাখ ডলার খরচ করে সফটওয়্যার আমদানি করতে হয়নি, আর তা পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক হারে পরামর্শক ফি গুনতে হয়নি। এভাবে দেশি সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আমাদের শুধু বৈদেশিক মুদ্রাই সাশ্রয় হবে না, আমাদের তরুণ কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বাড়বে, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।সারা দেশে মায়েদের যে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সেখানে প্রত্যেক গ্রাহকের একটা করে ফরম তৈরি হয়েছে। প্রতিটি ফরমে মায়েদের যাবতীয় তথ্যের সঙ্গে তাঁর সন্তানদের বিবরণ আছে এবং শিক্ষকদের স্বাক্ষর আছে। এই ফরম ব্যবহার করে রূপালী ব্যাংক এখন এই গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা দিতে পারে। যেমন ১ কোটি মায়ের মধ্য থেকে যদি আমরা ১০ লাখ মায়ের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে ঋণ দিই, তাহলে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া সম্ভব। লক্ষ করার বিষয় এই যে এই ফরমে সন্তানদের নাম এবং শিক্ষকদের স্বাক্ষর আছে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণ নিলে ঋণখেলাপি হওয়ার আশঙ্কা কম হবে। প্রতিটি ঋণের বিপরীতে যদি একজন করে মানুষের কাজ তৈরির সুযোগ তৈরি হয়, তাহলে এই ১০ লাখ ঋণের মাধ্যমে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব, যা দেশের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।দেশে ৫০টি ব্যাংক রয়েছে, তাদের ৮-১০ হাজার শাখা। এর জন্য আমাদের একটি ব্যাংকিং সফটওয়্যার নিজেদেরই তৈরি করা উচিত। আমাদের দেশি সফটওয়্যারে যে কাজ হয়, তার প্রমাণ বিভিন্ন ব্যাংকে এসব সফটওয়্যার চলছে। দেশজ ব্যাংকিং সফটওয়্যার আমাদের সব ব্যাংকেই চলতে পারে। তাতে যেমন আমাদের কম্পিউটার পেশাজীবীদের অভিজ্ঞতা হবে, আত্মবিশ্বাস বাড়বে, ঠিক তেমনি দেশের সফটওয়্যার–সামগ্রী ব্যবহারে সাধারণ নাগরিকদের গর্ববোধও বাড়বে।ইদানীং একটি বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা। এ বিষয়ে আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরেও অনেক কথা হচ্ছে। এই অবস্থাকে পুঁজি করে প্রচুর টাকার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার আমদানি করা হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত আন্তর্জাতিক দামে বিদেশি পরামর্শকও। আমরা ইতিমধ্যে বিদেশি সফটওয়্যার ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতেই বড় মাপের সাইবার হামলার শিকার হয়েছি। সাইবার নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই বিষয়ে নিজস্ব প্রযুক্তি, সক্ষমতা ও লোকবল তৈরি করা। এই কর্মকাণ্ডে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যদি সবাই মিলে একে অপরকে সহায়তা করি, প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়াই এবং প্রযুক্তির জ্ঞানচর্চা ভাগাভাগি করি, তবেই শুধু সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
327,596
শাকিলা হক
economy
অর্থনীতি
২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:২১
২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:২৮
-1
null
যুক্তরাষ্ট্র টিপিপি ছাড়লে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1025865
ক্ষমতা নেওয়ার প্রথম দিনই ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটি চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। বিশ্ব বাণিজ্যের গতিও মন্থর হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।যদিও টিপিপি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে স্বল্প বা মধ্য মেয়াদে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে; তবে এটা বিশ্বায়নের জন্য ভালো সংবাদ নয় বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাঁরা মনে করছেন, টিপিপিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যেহেতু বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে, তাই বিশ্ব অর্থনীতিতে এর সুস্পষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণা বিশ্বায়নের জন্য কোনোভাবেই ভালো নয়। টিপিপি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে হয়তো মধ্য মেয়াদে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। তবে তার মানে এই নয় যে এটা বাংলাদেশের জন্য একদম ভালো একটি বিষয় হলো। বিচ্ছিন্নতা মনোভাব নিয়ে চলছেন নির্বাচনে জয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যা অর্থনীতির জন্য ভালো হতে পারে না। টিপিপি চুক্তি বাতিল হওয়া বা না হওয়া বাংলাদেশের জন্য তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি প্রভাব পড়ত, যদি বাংলাদেশ এই চুক্তির সদস্য দেশ হতো। যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলেও প্রত্যক্ষ কোনো সুফল বাংলাদেশের জন্য নেই। ট্রাম্পের এই ধরনের নীতি বিশ্ব বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধিতে শ্লথ করে দেবে, যা কখনো ভালো হতে পারে না।যেকোনো আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সদস্য দেশগুলোর জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটায়। এই ধরনের চুক্তির দুটো দিক লক্ষ করা যায় বলে জানান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির দুটি দিক আছে—ট্রেড ক্রিয়েশন ও ট্রেড ডাইভারশন। যে দেশগুলো কোনো একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সদস্য হয়, তখন তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায় এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণ হয়। আর যেসব দেশ সদস্য হতে পারে না, তারা ট্রেড ডাইভারশন প্রভাবে পড়ে। সদস্য না এমন কোনো দেশের যদি আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির সদস্য—এমন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য থাকে, তাহলে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন টিপিপিতে ভিয়েতনামের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের পোশাক খাতে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের টিটিপি ত্যাগের ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে এই আশঙ্কা আর থাকবে না।নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, ভিয়েতনামের প্রধান বাণিজ্য তৈরি পোশাক খাত নয়। ওদের তৈরি পোশাক খাতে বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জনেও সময় লাগবে। তাই প্রতিযোগিতা তৈরি অন্যদিক দিয়েও হতে পারে। বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। স্বল্প মেয়াদে লাভবান হলেও দীর্ঘ মেয়াদে অন্য কোনো চুক্তি বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’টিপিপি ত্যাগের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেল বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, এই ঘোষণার ফলে প্রকাশ পেল যুক্তরাষ্ট্রের অধিক হারে সংরক্ষণমূলক নীতির। অভ্যন্তরীণ শ্রম কর্মসংস্থান সংরক্ষণের নীতি। যুক্তরাষ্ট্র বহুপক্ষীয় চুক্তিগুলো থেকে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ কাঠামোর দিকে সরে যেতে চাইছে। এই পরিস্থিতিকে সামগ্রিকভাবে বলা যেতে পারে বৈশ্বিক অর্থনীতি যে বড় আঞ্চলিক বাজারের দিকে যাচ্ছিল, সেই নীতির বিপরীত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সারা বিশ্বের বাণিজ্য শ্লথ হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য ব্যয় বাড়বে। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বহুপক্ষীয় চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার বিষয়টি মিশ্র প্রভাব ফেলতে পারে। বহুপক্ষীয় চুক্তিগুলো হলে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো বাড়তি সুবিধা পায়। অর্থাৎ, এদিক দিয়ে দেখলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, তবে এটি বাতিল হলে অন্য বহুপক্ষীয় চুক্তিগুলোর কাজ শুরু হতে পারে। এমন অনেকগুলোর কথা চলছে, যা চীনকেন্দ্রিক এবং যেখানে বাংলাদেশ নেই। তাই বাংলাদেশের জন্য এর প্রভাব নেতিবাচক হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশও এই ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হবে। বাংলাদেশ সেই হিসাবে এখনো পুরোপুরি সক্ষম দেশ নয়। তাই বাংলাদেশের জন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তিতে জায়গা করে নেওয়াটা কঠিন হবে।আর তাই বাংলাদেশের বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র পর্যায়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে কী পরিবর্তন হচ্ছে, এই বিষয়গুলোতে নজর রাখতে হবে।এদিকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন দেশ-বিদেশের অর্থনীতিবিদেরাও। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তাঁরা এ সমালোচনা করেন।দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকার এশিয়া অঞ্চলের সম্পাদক মিসন রাবিনোভিচ বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প এমনটাই বলেছিলেন। এটা আশ্চর্যের কিছু ছিল না। তবে এখনো হতাশজনক। যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে এক দশক ধরে কাজ করা এই চুক্তি অকেজো হয়ে যাবে। দুঃখের বিষয় হলো, ট্রাম্প এটিকে ভয়ংকর চুক্তি বলছেন, অথচ এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই অনেক ভালো।এশিয়ান ট্রেড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডেবোরাহ এলমস বলেন, এটা খুব হতাশজনক একটি সংবাদ। এর মানে এশিয়ার বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো নেতৃত্ব থাকল না। এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও শ্লথ হয়ে যাবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
267,484
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:১৪
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮
এশিয়া
null
পাহাড়-জঙ্গলে লতাপাতা খেয়ে বেঁচে ছিলেন তাঁরা
http://www.prothom-alo.com/international/article/1316036
দিল বাহারের বয়স ৬০। মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানে প্রাণ গেছে তাঁর ছেলে মাহবুবের। ঘরবাড়ি ছারখার হয়েছে। নাতি আর স্বামীকে নিয়ে পালিয়ে ১২ দিন কাটিয়েছেন পাহাড়-জঙ্গলে। সঙ্গে থাকা চাল শেষ হয়ে গেছে আট দিনেই। বাকি দিনগুলো কাটিয়েছেন বৃষ্টির পানি আর লতাপাতা খেয়ে।এরপর মাছ ধরার কাঠের নৌকায় চেপে এসে নেমেছেন বাংলাদেশ সীমান্তের উপকূলে। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় বিবিসির সাংবাদিক সঞ্জয় মজুমদারের সঙ্গে।সঞ্জয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল বাহার একটানা কাঁদছিলেন। তাঁর স্বামী জাকির মামুন পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন। মুখে দাঁড়ি। দুর্বল শরীর। সঙ্গে রয়েছে নাতি মাহবুব। কিশোর মাহবুবের হাত ব্যান্ডেজের মতো করে বেঁধে রাখা হয়েছে। ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছে তার মুখ। দিল বাহার জানালেন, মাহবুবের হাতে গুলি লেগেছে।জাকির মামুন জানালেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের বুথিডং এলাকায় তাঁদের বাড়ি। হঠাৎই হামলা চলে তাঁদের গ্রামে। জাকির বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের বাড়িসহ অনেক বাড়িতে বোমা ছোড়ে। আগুন ধরিয়ে দেয়। গ্রামবাসী পালানোর চেষ্টা করলে নির্বিচারে গুলি চালায়। সারা রাত ধরে গুলি চলেছে। পরদিন সকালে দেখি গ্রামটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গ্রামের বাড়িগুলো থেকে ধোঁয়া উড়ছে। সবকিছু হারিয়েছি আমরা। হামলায় মারা গেছেন আমার ছেলে—মাহবুবের বাবা। পরে আমরা প্রাণ নিয়ে কোনো রকমে পালিয়ে পাহাড়ি এলাকায় ঢুকে পড়ি।’জাকির-দিল বাহারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রাণভয়ে বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে কয়েকটি বাসনপত্র ও চাল নিয়ে বের হন তাঁরা। ১২ দিন ধরে তাঁরা দুটি পাহাড় ও বনজঙ্গলে ঘুরেছেন। তাঁদের কাছে যেটুকু চাল ছিল, তা আট দিনেই শেষ হয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে লতাপাতা ও বৃষ্টির পানি খেয়ে প্রাণ বাঁচান তাঁরা। বাংলাদেশ সীমান্তের উপকূলে নামার পর আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে মাহবুবকে।ছোট ছোট নৌকায় চেপে বাংলাদেশ উপকূলে ভিড়ছে রোহিঙ্গারা। কাছাকাছি গেলে দেখা যাবে গাদাগাদি করে আছে রোহিঙ্গারা। নৌকার পাটাতনে রয়েছেন নারীরা। শক্ত করে ধরে রেখেছেন শিশুদের। পুরুষেরা নৌকার একদিকে বসে রয়েছেন। সীমান্তের শ্যামলাপুরের কাছেই আরেকটি নৌকা ভিড়ল। তীরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল কালো পোশাক পরা মধ্যবয়সী এক নারীকে। নাম রহিমা খাতুন। উদ্বিগ্ন চোখে তাকাচ্ছিলেন এদিক-সেদিক।রহিমা খাতুন তাঁর ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। জানালেন, ১০ দিন আগে মিয়ানমারের মংগদুতে তাঁদের এলাকায় হামলা হয়। পালানোর সময় তাড়াহুড়োতে অনেকেই আলাদা হয়ে যায় একে অন্যের থেকে। তখন থেকেই প্রতিদিন তীরে এসে ভাই নবি হাসানকে খোঁজেন রহিমা। ৪ নম্বর নৌকাটি তীরে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামনের দিকে ছুটে গেলেন রহিমা। তাঁর দিকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে আসতে দেখা গেল এক যুবককে। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলেন তাঁরা। বোঝা গেল তিনিই রহিমার সেই হারিয়ে যাওয়া ভাই।রহিমা ও নাবি ভাবেননি আবার দেখা হবে। নাবি বললেন, ‘পরিবারের ১০ সদস্যের মধ্যে বেঁচে আছি মাত্র দুজন। গ্রামে হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী।’মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এ ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তাদের ভাষ্য, তারা কেবল রোহিঙ্গা জঙ্গিদের লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে। রাখাইনে পুলিশ চৌকিতে হামলাকারীদের লক্ষ্য করেই তাঁদের অভিযান।কক্সবাজারে বালুখালীর একটি শরণার্থীশিবিরে আছেন অনেক রোহিঙ্গা। অনিশ্চিত জীবনের দুশ্চিন্তায় থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য এটি একটি অস্থায়ী আবাস। সাধারণ প্লাস্টিক ও বাঁশ দিয়ে এই শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।জাকির মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশে পৌঁছে তিনি একটু স্বস্তি পাচ্ছেন। এটি মুসলিমপ্রধান দেশ। এখানে তাঁরা নিরাপদে থাকবেন।’
337,026
বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ জুলাই ২০১৭, ০০:৪৮
২০ জুলাই ২০১৭, ০০:৫০
বেড়া,পাবনা
0
পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1258176
পাবনার বেড়া উপজেলায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তির নাম রণজিৎ সাহা (৪০)। তিনি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের রবি সাহার ছেলে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, পুলিশ একটি জুয়ার আসরে অভিযান চালালে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে রণজিৎসহ একদল জুয়াড়ি মাসুমদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনের একটি আমবাগানে জুয়া খেলছিলেন। খবর পেয়ে আমিনপুর থানার পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা পালানোর জন্য দৌড়াতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে রণজিৎসহ তিন-চারজন পাশের আত্রাই নদে ঝাঁপ দেন। অন্যরা সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও রণজিৎ ডুবে যান।খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাননি। গতকাল বুধবার সকাল সাতটার দিকে তাঁর মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্বজনেরা তা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। গতকাল বিকেলে মৃতদেহের সৎকার সম্পন্ন হয়।স্থানীয় রূপপুর ইউপির চেয়ারম্যান উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আমি ঢাকায় রয়েছি। তারপরও আমি ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন তাস খেলছিল। তারা পাশ দিয়ে টহল পুলিশের একটি দলকে যেতে দেখে ভয়ে দৌড় দেয়। এতে রণজিৎ দুর্ঘটনাবশত পানিতে ডুবে মারা যান। আমি মৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এ ব্যাপারে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।’ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনিল সাহা বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন। পুলিশের ধাওয়ায় রণজিতের পানিতে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি তিনি স্থানীয় লোকজনের কাছে শুনেছেন।আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেড এম তাজুল হুদা বলেন, ‘রণজিৎ নামের এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে শুনেছি। কিন্তু এর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া বা অভিযানের কোনো রকম সম্পর্ক নেই। হতে পারে তারা টহল পুলিশের দল দেখে হয়তো নিজেরাই দৌড় দিয়েছে। তবে এ বিষয়টিও আমাদের অজানা। মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা লাশ উদ্ধার করে সৎকার করেছে বলে আমরা জেনেছি।’
327,574
কুষ্টিয়া অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ আগস্ট ২০১৩, ০২:৩৭
১৪ আগস্ট ২০১৩, ০২:৩৮
কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
কুষ্টিয়ার পিআইও সাময়িক বরখাস্ত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/38282
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তপন কুমার ঘোষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ৭ আগস্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহামঞ্চদ আবদুল ওয়াজেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বরখাস্তের বিষয়টি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়।জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন গত সোমবার দুপুরে চিঠি পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তপন কুমার ঘোষ ২০১২-১৩ অর্থবছরে টিআর কর্মসূচির আওতায় ২০টি বিশেষ প্রকল্পের ১০০ টন খাদ্যশস্য (চাল) পরিপত্রের শর্ত অনুসরণ না করে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ পাল ও জেলার ফ্যাসিলিটেটর আকতার হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তাঁরা ১৯ থেকে ২১ মে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পান।এ ব্যাপারে তপন কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংসদের সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিটি প্রকল্পে সঠিকভাবে কাজ করা হয়েছিল। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে জেলা প্রশাসক মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ন্যায়বিচার পেতে প্রয়োজনে আদালতে যাব।’
9,104
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০২
২৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০২
মৌলভীবাজার,বিশাল বাংলা
0
বিদায় সংবর্ধনা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1067789
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সিংকাপন আপ্তাব উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের গতকাল বৃহস্পতিবার বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রকাশিত স্মরণিকা সপ্তডিঙার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। দুপুরে বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আখলিছুর রহমান।
287,576
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ আগস্ট ২০১৫, ০২:২৭
২৭ আগস্ট ২০১৫, ০২:২৭
মাদারীপুর,ঢাকা বিভাগ,রাজনীতি
0
মাঠে তৎপরতা কম, নেতাদের দুই ধারা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/614086
মাদারীপুরে মাঠে বিএনপির তেমন তৎপরতা নেই। তবে কোন্দলের কারণে জেলায় বিএনপির নেতাদের দুই ধারা। কর্মসূচিও পালিত হয় আলাদা। এক পক্ষে আছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। অন্য পক্ষে জেলা যুবদলের সভাপতি। যুবদলের সভাপতির পক্ষে আছেন জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা ও পদবঞ্চিত নেতারা।জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অন্য পক্ষের অভিযোগ, তাঁরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই দুজন। তাঁদের মতে, বিশেষ সুবিধা নিতেই অন্য পক্ষের এমন অপপ্রচার।জেলা বিএনপির সূত্র জানায়, দলের দুই পক্ষের কারওরই কার্যালয় নেই। মাঠে তৎপরতা কম, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডও কম। বিশেষ কিছু দলীয় কর্মসূচিই শুধু পালন করা হয়। এসব কর্মসূচি আবার পালিত হয় দুই পক্ষের দুই নেতার বাসায়। অর্থাৎ রাজনীতি নেতাদের বাসাকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। সর্বশেষ গত ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পৃথকভাবে পালিত হয়েছে দুই পক্ষের দুই নেতার বাসায়। জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০১০ সালে। ওই সম্মেলনে আবু বকর সিদ্দিককে সভাপতি, জাহান্দার আলী জাহানকে সাধারণ সম্পাদক ও জামিনুর হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। তবে তখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব হয়নি। ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে কোন্দল থামেনি। পদবঞ্চিত নেতারা যুক্ত হয়েছেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিপক্ষ অংশে। এই বিপক্ষ অংশের নেতৃত্বে আছেন জেলা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মুরাদ। এ অংশের সঙ্গে রয়েছেন জেলা কমিটিরও কয়েকজন সদস্য।একাংশের নেতাদের দাবি, মাদারীপুরে গত দুই বছরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকেন্দ্রিক ২০টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোয় আসামি করা হয় প্রায় ৪৫০ জনকে। এঁদের বেশির ভাগই তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী। তবে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের আসামি করা হয়নি। কারণ, তাঁরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে চলেন।জেলা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, মাদারীপুরের বিএনপির রাজনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কর্মীদের বিপদে ফেলে নেতারা সরকারদলীয় লোকের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকে আটক করে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আটক হওয়া যুবদল-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ মামলার আসামি দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। এতেই পরিষ্কার, তাঁরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছেন।জেলা বিএনপির সূত্র জানায়, যুবদল সভাপতির নেতৃত্বাধীন অংশের কর্মকাণ্ড চলে তাঁর বাসায়। আর বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অংশের কর্মকাণ্ড চলে সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহানের বাসায়।জাহান্দার আলী জাহান বলেন, ‘সারা দেশের মতো মাদারীপুরেও পুলিশি নির্যাতন আছে। পুলিশের ভয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর কর্মসূচি পালন করা কি সম্ভব?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দল টিকিয়ে রাখতে একটু সতর্ক হয়ে চলতে হচ্ছে। তাই কেউ কেউ ভাবছেন, আমরা সমঝোতা করে চলছি। সমঝোতা করে কি রাজনীতি করা যায়?’জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মাদারীপুরে বিএনপির দুটি পক্ষ রয়েছে। যাঁরা পদবঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা আলাদা পক্ষ হয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করেন। বিএনপির কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে চলেন না। একটি পক্ষ বিশেষ সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন অপপ্রচার চালায়। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রঘোষিত প্রায় সব কর্মসূচিই আমরা পালন করার চেষ্টা করি।’
163,452
-1
entertainment
বিনোদন
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪২
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪২
বিনোদন,টেলিভিশন
0
টিভি পর্দায় একুশ
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/457393
দেশ টিভিতে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে আসাদুজ্জামান নূরের উপস্থাপনায় বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বেলা অবেলা সারাবেলা’। অতিথি ভাষাসৈনিক তোফাজ্জল হোসেনভাষাসন্তান নাটকে ইলোরা গওহর। বাংলাভিশনে রাত ৯টা ৫ মিনিটে দেখানো হবে নাটকটিএসএ টিভিতে বেলা ৩টায় প্রচারিত হবে টেলিছবি অহংকার। টেলিছবির দৃশ্যে শহীদুজ্জামান সেলিম ও কল্যাণচ্যানেল আইতে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচারিত হবে বিশেষ নাটক আদর্শ কারিগর। নাটকের দৃশ্যে জিতু আহসান ও দীপা খন্দকারধুলোর আকাশ নাটকের দৃশ্য। এটিএন বাংলায় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে দেখানো হবেতিলোত্তমা, তোমার জন্য... নাটকের দৃশ্যে আরফান, নিশো ও তিশা। আরটিভিতে রাত ৮টা ২০ মিনিটে প্রচারিত হবে
117,343
প্রথম আলো ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ এপ্রিল ২০১৫, ০৪:৩০
১৭ এপ্রিল ২০১৫, ০৪:৩০
-1
0
২০ এপ্রিল থেকে কর্মী ভিসা দেবে সৌদি আরব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/504994
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ২০ এপ্রিল থেকে ভিসা দেওয়া শুরু করবে সৌদি আরব। গত সোমবার দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে। খবর আরব নিউজের।সৌদি আরবের আন্তর্জাতিকবিষয়ক শ্রম উপমন্ত্রী আহমেদ আল-ফাহাদ জানান, গত মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত গৃহকর্মী নিয়োগ চুক্তির আওতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সৌদি শ্রম উপমন্ত্রী আহমেদ আল-ফাহাদের মধ্যে ঢাকায় ওই চুক্তি সই হয়।আল-ফাহাদ বলেন, ব্যাপকভিত্তিক এই চুক্তিতে নিয়োগকর্তা ও নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। যোগ্য হতে হলে বাংলাদেশি কর্মীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবান ও পেশাগত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ থাকা চলবে না এবং সৌদি আরবের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং শ্রম আইন সম্পর্কে জানতে হবে।সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়, বর্তমানে সে দেশে প্রায় ১২ লাখ (১ দশমিক ২ মিলিয়ন) বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন।
131,786
-1
economy
অর্থনীতি
৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০৩
৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৩
বাণিজ্য
0
সংযত মুদ্রানীতি চায় ইএবি!
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1069921
বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তাকে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন-সহায়ক বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ রপ্তানিকারক সমিতি (ইএবি)। এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তা যুক্তিযুক্ত ও সময়োপযোগী।’ তবে বিজ্ঞপ্তির পরের লাইনেই বলা হয়, ‘ইএবির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল বর্তমান রপ্তানির অবস্থা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে রপ্তানি-সহায়ক আরও সংযত মুদ্রানীতি, যার ফলে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।’নিজস্ব প্রতিবেদক
288,610
রাজশাহী ও নওগাঁ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০২:৩১
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০২:৩৩
অপরাধ
0
আটকের পর র‍্যাবের পিটুনি, যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1317686
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কৈবর্ত্তপুর গ্রামে আটকের পর র‍্যাব সদস্যের পিটুনিতে এক যুবক মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। তবে র‍্যাব বলছে, আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান।নিহত ব্যক্তির নাম মাজহারুল ইসলাম (৩০)। তিনি কৈবর্ত্তপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে। পরিবার বলছে, মাজহারুল কৃষিকাজ করতেন। আর র‍্যাব বলেছে, অস্ত্র কেনাবেচার সময় মাজহারুলকে আটকের পর তাঁর কাছ থেকে ছয়টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।মাজহারুলের স্ত্রীর বড় ভাই মো. আলম, মামা মোখলেসুর রহমান ও ভগ্নিপতি হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার রাত নয়টার দিকে মান্দার সিঙ্গারহাট বাজারে একটি চায়ের দোকান থেকে মাজহারুলকে ধরেন র‍্যাবের ১০-১২ জন সদস্য। সেখানে তাঁকে বেদম মারধর করা হয়। পরে তাঁকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দোতলায় একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। রাত প্রায় একটা পর্যন্ত তাঁর ওপর নির্যাতন চলে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান তাঁরা। গতকাল শনিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোর সাড়ে চারটায় এ হাসপাতালে তাঁর লাশ রেখে যান র‍্যাব-৫-এর সদস্য পরিচয়ে কিছু লোক।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।গতকাল দুপুরে রাজশাহী মেডিকেলের হিমঘরে মাজহারুলের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। মর্গে গিয়ে দেখা যায়, সাদা গেঞ্জি আর লুঙ্গি পরা অবস্থায় একটি ট্রলিতে লাশটি রাখা। লুঙ্গির নিচে রক্তে ভিজে গেছে। হাতের কবজি ও কনুইয়ে আঘাতের চিহ্ন। পিঠ ও কোমরের নিচে কালচে দাগ। দুই পায়ের পাতা ফোলা।সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় উপস্থিত রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, ‘আমরা সুরতহাল প্রতিবেদনে সবকিছু উল্লেখ করেছি। আঘাতগুলো কিসের তা বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি বোঝা যাবে।’মাজহারুলের বাবা আনিসুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাব সদস্যরা আমার বাড়িঘর সব তল্লাশি করছে। তন্নতন্ন করে দেখছে। তল্লাশি করার পর কিচ্ছু পায়নি।’রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অন্য কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।’জানতে চাইলে র‍্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম প্রথমআলোকে বলেন, র‍্যাব সদস্যরা জানতে পারেন মান্দার একটি জায়গায় অস্ত্র কেনাবেচা করা হবে। এর ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়। তাঁর কাছে থাকা ছয়টি গুলি পাওয়া যায়। অস্ত্র কোথায় আছে জানতে চাইলে মাজহারুল বলেন বাড়িতে আছে। তাঁকে বাড়িতে নিয়ে তল্লাশি করে অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এরপর তিনি আরও ৮-১০টি স্থানে অস্ত্র লুকিয়ে রাখার কথা বলেন। কিন্তু সেসব জায়গায় অভিযান চালিয়ে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে নিয়ে রাজশাহী র‍্যাব কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়। পথে অসুস্থ হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ধরার সময় ধস্তাধস্তিতে তাঁর কনুই ছিলে যায়। এরপর গ্রামের ঝোপঝাড়ে অভিযান চালাতে গিয়ে কিছুর সঙ্গে লেগে পায়ে জখম হয়ে থাকতে পারে। হাতকড়া পরিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। তাই হাতে হাতকড়ার দাগ থাকতে পারে।
337,457
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
২৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৫৬
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:২৮
মোস্তাফিজুর রহমান,আইপিএল,ক্রিকেট
null
আইপিএলে মোস্তাফিজ কি একেবারে খারাপ বোলিং করছেন?
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1479421
• মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বোলারদের মধ্যে ‘ডট’ দেওয়ার তালিকায় মোস্তাফিজ তৃতীয় • তবে বাউন্ডারি হজমে মুম্বাই সতীর্থদের ছাপিয়ে গেছেন মোস্তাফিজ২০১৬ সালে আইপিএলে প্রথম পা রাখার আগেই মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, কখন বেশি কার্যকর? ম্যাচের শুরুতে না শেষে? দুই বছরের ব্যবধানে আইপিএলে এবার সেই মোস্তাফিজকে ঘিরেই জেগেছে নতুন প্রশ্ন—ঠিক কতটুকু কার্যকর? এর জবাব দিতে পারে পরিসংখ্যান। আবার এই পরিসংখ্যান দেখেই যদি উল্টো প্রশ্ন করা হয়, এই প্রশ্নটাই বা কতটুকু যৌক্তিক?আইপিএলে এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এর মধ্যে শুধু একটি ম্যাচে মোস্তাফিজকে ছাড়াই মাঠে নেমেছে মুম্বাই। এই ৬ ম্যাচে মোট ২৩.৩ ওভার বোলিং করেছেন। অর্থাৎ মোস্তাফিজকে দিয়ে প্রতি ম্যাচেই বোলারদের ৪ ওভারের কোটা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এটা প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের এ পেসারের ওপর তিনি আস্থা রাখেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে যেন মোস্তাফিজের ওপর ভাগ্যদেবীর কোনো আশীর্বাদ নেই!৬ ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়ার বিনিময়ে ১৯৬ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৮.৩৪ গড়ে। তেমন একটা ভালো নয়। কিন্তু পরিসংখ্যান সেটা বলে না, ৬ ম্যাচে চাপের মুহূর্তে মোস্তাফিজের হাতেই বল তুলে দিয়েছেন রোহিত। বাংলাদেশের এই পেসার অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান যে একেবারেই দিতে পারেননি তা নয়।সানরাইজার্সের বিপক্ষে এবার মুম্বাইয়ের প্রথম ম্যাচে ১৯তম ওভারে ১ রানে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। সেই ম্যাচে ২৪ রানে তাঁর শিকার মোট ৩ উইকেট। এ ছাড়া আর কিছু ম্যাচেও শেষ দিকে দারুণ বোলিং করে জয়ের সুবাস পাইয়ে দিয়েছেন সানরাইজার্সকে। এর উল্টো নজিরও আছে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে শেষ ওভারে ১১ রান আটকাতে পারেননি মোস্তাফিজ। এ ছাড়া রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে শেষ দিকে চাপের মুখে এক ওভারে ১ উইকেট নিলেও দিয়েছিলেন মহামূল্যবান ১৫ রান।মোস্তাফিজের এই ব্যর্থতাগুলোই বেশি করে চোখে পড়ছে। কিন্তু কেন এমন ঘটছে?১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতির পেসারদের সাধারণত বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। সাধারণ সিম ডেলিভারি ছাড়াও কাটার-স্লোয়ার ছাড়তে হয়। এই আইপিএলে মোস্তাফিজের ডেলিভারিগুলোর মিশ্রণ ঠিক হচ্ছে না। মানে, সিম, কাটার, স্লোয়ারের মিশ্রণটা ঠিক নিখুঁত হচ্ছে না, যে ব্যাটসম্যান প্রতি মুহূর্তেই দ্বিধায় থাকবেন।বোকা বনে যে যাচ্ছেন না, তা নয়। মুম্বাইয়ের সব বোলারদের মধ্যে ‘ডট’ দেওয়ায় মোস্তাফিজ শীর্ষ তিনে আছেন। জসপ্রীত বুমরা (৬৮), মৈনাক মারাকান্দের (৫১) পরেই আছেন মোস্তাফিজ (৫০)। ভারতের দুই বোলারের চেয়ে মোস্তাফিজ এক ম্যাচ কম খেলেছেন।চাপের মুহূর্তে ‘ডট’ দেওয়ার দক্ষতাও যদি ধরা হয়, সেখানেও মোস্তাফিজ খারাপ নন। দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ওভারে ১১ রান দিলেও প্রথম দুই বলে ১০ রান দেওয়ার পর টানা তিন বল ‘ডট’ দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। এতে বোঝা যায় তাঁর ভালো ডেলিভারিগুলো ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন প্রশ্ন। কিন্তু ওভারে যে দু-একটা বাজে ডেলিভারি করছেন ব্যাটসম্যানরা সেগুলো থেকেই ফায়দা লুটে নিচ্ছেন। ৬ ম্যাচে মোস্তাফিজের মোট ১৪১টি বৈধ ডেলিভারির মধ্যে ‘ডট’ ৫০টি আর বাউন্ডারি ২৭টি। এর মধ্যে ১৯টি ছক্কা ও ৮টি চার।বাউন্ডারি হজমে মোস্তাফিজ মুম্বাই সতীর্থদের ছাপিয়ে গেলেও ‘ডট’ বলের হিসাব বলছে, ধারটা আগের মতোই আছে। শুধু ওই বোলিং বৈচিত্র্যের মিশ্রণটা ঠিক হলেই হয়তো আশার সলতেটা আরও বেশি করে জ্বলে উঠবে।
362,391
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ মার্চ ২০১৪, ০২:০৩
০৭ মার্চ ২০১৪, ০২:০৮
জগন্নাথপুর,সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
গম উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/162889
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে গত বুধবার রাতে পাচারকালে ভিজিডির ২৩ বস্তা গম উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ মনফর আলী ঠেলাগাড়িতে করে ওই বস্তাগুলো কুশিয়ারা নৌঘাটে নেওয়ার পথে রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা সেগুলো আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গমগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজলুল হক বলেন, এ ঘটনায় তাঁরা কেউ জড়িত নন। তবে গ্রাম পুলিশ মনফর বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কথামতো তিনি গমগুলো বের করেছিলেন। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহামঞ্চদ হারুণ অর রশীদ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।
56,496
-1
international
আন্তর্জাতিক
০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:০৭
০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:১০
-1
0
চইকে শুনানিতে হাজিরের নির্দেশ
http://www.prothom-alo.com/international/article/1035855
দক্ষিণ কোরিয়ায় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নারী চই সুন-সিলকে সংসদীয় শুনানিতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চই সুন দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হের কাছের বন্ধু। চই সুন-সিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, —তিনি প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে নিজের পকেট ভারী করেছেন। এই দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করেছেন প্রেসিডেন্ট পার্ক। তা সত্ত্বেও আগামী শুক্রবার তিনি অভিশংসনের মুখোমুখি হচ্ছেন। উল্লেখ্য, চলমান গণবিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি পার্ক গিউন হে বলেন, তিনি পদত্যাগে রাজি আছেন যদি পার্লামেন্ট বিষয়টি সহজ করে দেয়। বিবিসি
272,534
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৩৪
২২ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৩৫
গাজীপুর,বিশাল বাংলা
0
ওয়ালটন কারখানায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/198556
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘ওয়ালটন বাংলাদেশের শিল্পায়নের মডেল হিসেবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম দেখে মনে হলো, আমরা আধুনিক প্রযুক্তিশিল্পে প্রবেশ করেছি।’প্রতিমন্ত্রী গত রোববার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী, ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহনেওয়াজ দিলরুবা খান, ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) এম এ কাদের, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর ইউসুফ আলী প্রমুখ।এর আগে এম এ মান্নান সকাল সাড়ে ১০টায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজে পৌঁছালে সেখানে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রতিমন্ত্রী কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁকে কারখানা এবং ওয়ালটনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো হয়। পরে তিনি প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার এবং বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট পরিদর্শন করেন।
67,583
কলকাতা প্রতিনিধি
international
আন্তর্জাতিক
১৫ মার্চ ২০১৪, ১৫:৫৫
১৫ মার্চ ২০১৪, ১৫:৫৮
ভারত
null
মোদিতে মুসলিম ভোট কমবে
http://www.prothom-alo.com/international/article/169342
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজেপি নরেন্দ্র মোদির নাম ঘোষণা না করলে সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট বেশি পেত বলে মনে করেন ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার।রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার। ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জি-নিউজ ও গবেষণা সংস্থা তালিমের যৌথ সমীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।ভারতের ৫৬টি লোকসভা কেন্দ্রের ১৩ হাজার ৪২৮ জন ভোটারের মধ্যে এ সমীক্ষা চালানো হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে সেই সমীক্ষার দ্বিতীয় কিস্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।সমীক্ষায় জানানো হয়, এবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করেছে। এনডিএ পেতে পারে ২১৭ থেকে ২৩১টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) পেতে পারে ১২০ থেকে ১৩৩টি আসন। বামদলের নেতৃত্বাধীন তৃতীয় ফ্রন্ট পেতে পারে ৮৩ থেকে ১১৫টি আসন।সমীক্ষায় জানানো হয়, যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উঠে এসেছে মোদির নাম। ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার চাইছে মোদিকে। এরপর পছন্দের তালিকায় আছেন যথাক্রমে রাহুল গান্ধী (২১ দশমিক ২ শতাংশ ), অরবিন্দ কেজরিওয়াল (৪ দশমিক ২ শতাংশ), মায়াবতী (২ দশমিক ৯ শতাংশ), মুলায়ম সিং যাদব (২ দশমিক ২ শতাংশ), মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (২ শতাংশ), শারদ পাওয়ার (১ দশমিক ৭ শতাংশ), জয়ললিতা (১ দশমিক ১ শতাংশ), নীতিশ কুমার (শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ) ও নবীন পট্টনায়েক (শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ)।সমীক্ষার ফলাফলে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজেপির পছন্দের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন লালকৃষ্ণ আদভানি (৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ), সুষমা স্বরাজ (১৬ দশমিক ৯), রাজনাথ সিং (১৩ দশমিক ৩), শিবরাজ সিং চৌহান (৫ দশমিক ৯) ও অরুণ জেটলির (৩ দশমিক ৮ শতাংশ)।
58,382
এএফপি
international
আন্তর্জাতিক
০১ আগস্ট ২০১৬, ০১:০৫
০১ আগস্ট ২০১৬, ০১:০৭
-1
0
বদলাচ্ছে অবস্থান
http://www.prothom-alo.com/international/article/931708
নিজেদের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ সমন্বয় করবে অস্ট্রেলিয়া। ভূ-অভ্যন্তরের স্বাভাবিক গঠনজনিত গতির কারণে বিশাল দেশটি প্রতিবছর প্রায় পৌনে তিন ইঞ্চি করে উত্তরে সরে যাচ্ছে। বৈশ্বিক অবস্থান নির্ণয়ের স্যাটেলাইট ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের লক্ষ্যেই এ পরিবর্তন করা হচ্ছে। সরকারের বিজ্ঞান সংস্থা জিওসায়েন্স অস্ট্রেলিয়া বলেছে, চালকবিহীন গাড়ির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সুনির্দিষ্ট অবস্থানের তথ্য প্রয়োজন। সে জন্যই দেশের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ সমন্বয় করতে হবে। তাহলে স্মার্টফোনে স্যাটেলাইট-নির্ভর দিক নির্ণয়ব্যবস্থার নিখুঁত তথ্য পাওয়া যাবে।
245,516
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মে ২০১৫, ০১:২৩
০৬ মে ২০১৫, ০১:২৬
রাজধানী (জাতীয়),মহানগর,দুর্ঘটনা,ঢাকা বিভাগ
0
বাসচাপায় মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/520339
রাজধানীর জোয়ার সাহারা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাসচাপায় এমদাদুল হক (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, এমদাদুলের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার কালীবাড়ি এলাকায়। গতকাল তিনি রাজধানীর খিলক্ষেতে বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে বাসযোগে ঢাকায় আসেন। বিকেল চারটার দিকে জোয়ার সাহারা রেলগেটসংলগ্ন এলাকায় বাস থেকে নামেন। বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি দ্রুতগামী বাস তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
136,768
বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৬
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৭
বাঘাইছড়ি,রাঙামাটি,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
রাঙামাটিতে পার্বত্য বইমেলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1078881
রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো পার্বত্য বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল ও আদিবাসী লেখক ফোরাম তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করেছে।বইমেলায় ১০টি স্টল রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ মেলা চলবে।বইমেলার উদ্বোধন উপলক্ষে রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলো রানী আইচ, রাঙামাটি চাকমা ভাষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শান্তি চাকমা, রাঙামাটি চারুকলা ইনষ্টিটিউডের প্রতিষ্ঠাতা রতি কান্ত তঞ্চঙ্গ্যা, কবি অজিত কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমুনি চাকমা, এ টি এম কামাল উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য বইমেলা আয়োজন কমিটির সভাপতি ইন্দ্রদত্ত তালুকদার।আলোচনা শেষে রাঙামাটির চাকমা ভাষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ছিল কবিতাপাঠ, ভাষা প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।উদ্বোধনের পরই মেলায় ভিড় জমান শিক্ষার্থীরা। রাঙামাটি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্র নিকেল চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও প্রথাগত বিষয়ে তাঁর জানার আগ্রহ রয়েছে। সে ধরনের বই মেলায় খুঁজতে এসেছেন তিনি।
292,498
মংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:০৩
২১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:০৫
মোংলা,বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ,অপরাধ
0
অনুপ্রবেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/104191
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ ২৯ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। মংলা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের হিরণ পয়েন্টসংলগ্ন ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় শুক্রবার দুপুরে ভারতীয় ট্রলার দুটিসহ জেলেদের আটক করেন নৌ সেনারা। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মংলা থানার উপপরিদর্শক মানজুর এলাহী বলেন, আটক ব্যক্তিদের আজ শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।  মংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।
37,462
বিবিসি
international
আন্তর্জাতিক
০৪ জুন ২০১৬, ১০:১৮
০৪ জুন ২০১৬, ১২:০৭
ইউরোপ
0
প্যারিসে সিন নদীর সর্বোচ্চ বাড়
http://www.prothom-alo.com/international/article/877852
৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুঁসে উঠেছে প্যারিসের সিন নদী। বন্যার পানি এই নগরের পাতালরেলের কাছাকাছি চলে গেছে।বন্যায় দেশটিতে ১৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। এ কারণে ল্যুভ ও অর্সে জাদুঘর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মূল্যবান সব শিল্পকর্ম সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।সিন নদীর পানি ৬ দশমিক ৫ মিটার উঁচুতে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি সপ্তাহে পানি আর সরবে না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, প্যারিসে আরও বৃষ্টি হবে।ফ্রান্স, ইউক্রেনসহ ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ফ্রান্সে দুজন মারা গেছে। জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলে ১০ জন মারা গেছে। সেখানকার বেশ কয়েকটি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রোমানিয়ায় দুজন ও বেলজিয়ামে একজন মারা গেছে। অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডেও বন্যা হয়েছে। হাজার হাজার লোককে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।প্যারিসের ক্লুনি, লা সর্বোন ও সান শেল পাতাল রেলস্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নৌকা চলাচলও নিষিদ্ধ।সিন নদীর কাছেই পার্ক ও সমাধিক্ষেত্র রয়েছে। বন্যায় সেগুলো তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
228,942
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:২০
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:২৩
-1
0
শো ক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/50172
মুজিবুন-নেছাচৌমুহনী মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ও ক্রিসেন্ট কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মুজিবুন-নেছা (৫০) গত সোমবার বেলা দুইটায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জানাজা শেষে গতকাল ভোলার ওয়াজেদিয়া মসজিদ রোডে উকিল পাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমার দাফন সম্পন্ন হয়। মুজিবুন-নেছা দৈনিক বণিক বার্তার ক্রীড়া প্রতিবেদক আবু মেরাজ মেভিজের মা। বিজ্ঞপ্তি।জালাল উদ্দিন তালুকদারসাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে জালাল তালুকদার হত্যার প্রতিবাদ পরিষদ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আছে কবর জিয়ারত, শোক র‌্যালি, জহুরা জালাল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল।নেত্রকোনা প্রতিনিধি।
19,396
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ জুলাই ২০১৪, ০২:০১
১৭ জুলাই ২০১৪, ০২:০৩
রাজধানী (জাতীয়)
0
ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে আলোক প্রজ্বালন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/269971
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদী ‘স্থাপনা শিল্প’ প্রদর্শনী ও আলোক প্রজ্বালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।টিএসসিভিত্তিক সংগঠন স্লোগান ’৭১-এর বিকেলের এ আয়োজনে সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এ সময় বাংলাদেশে পড়াশোনারত কয়েকজন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলেন। কিছুসংখ্যক সাধারণ মানুষ ও পথচারীও এতে যোগ দেন। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক এ সময় বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলায় যারা নিহত হচ্ছে তাদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ। নারী ও শিশুদের ওপর এই হামলা কোনো সভ্য রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না।’স্থাপনাশিল্পের মধ্যে ছিল ঘেরাও করা ফিলিস্তিনি পতাকা, বন্দিত্বের প্রতীক খাঁচাবন্দী পাখি আর কাচে ঘেরা গোল্ডফিশ। প্রদর্শনী শেষে উপস্থিত জনতা মোমবাতি প্রজ্বালন করে ফিলিস্তিনে নিহত নারী ও শিশুদের প্রতি সমবেদনা জানায়।
78,360
বিশাল বাংলা ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ মে ২০১৫, ০২:১৪
০৩ মে ২০১৫, ০২:১৬
দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা,নোয়াখালী,হাটহাজারী,ফেনী,সাতকানিয়া
0
মা-ছেলে, নানি-নাতনি ও দম্পতিসহ নিহত ১০
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/518305
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গত শুক্রবার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পণ্যবাহী ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে নানি-নাতনিসহ চারজন নিহত হয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে মা-ছেলে। এদিকে ট্রাক-বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কক্সবাজারের রামুতে এক দম্পতি নিহত হন। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় ফেনীতে একজন এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একজন প্রাণ হারান।প্রথম আলোর আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর:নোয়াখালী: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার কবিরহাট বাজার থেকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন নিহত ও চারজন আহত হয়। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই অটোরিকশার যাত্রী।নিহত ব্যক্তিরা হলেন নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. বাবুলের স্ত্রী রোজি বেগম (৫৫), তাঁর নাতনি শহরের দত্তেরহাট এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে সুমনা (৯), কবিরহাট উপজেলার বাটাইয়া ইউনিয়নের দয়ারামদি গ্রামের অটোরিকশার চালক আবু নাছের (৩৭) এবং একই উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ফলাহারী গ্রামের আবদুল্লা আল-মামুন ওরফে পুলক (২৪)।দুর্ঘটনায় রোজি বেগমের স্বামী মো. বাবুল (৬৫), তাঁর মেয়ে মৌসুমী আক্তার (২০), কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের স্বপ্না রানী সূত্রধর (২০) ও একই উপজেলার ফারজানা আক্তার (১৭) আহত হন। তাঁদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাক্টরের চালক সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে।হাটহাজারী (চট্টগ্রাম): স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় এলাকায় গত শুক্রবার দুপুরে একটি জিপের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সঞ্জিতা দাশ (৩৫) ও তাঁর বড় ছেলে হৃদয় দাশ (১৩) নিহত হয়েছে।সঞ্জিতা দাশের বাড়ি হাটহাজারীর কাঠিরহাট এলাকায়।স্থানীয় সূত্র জানায়, কাঠিরহাট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে দুই ছেলেকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন সঞ্জিতা। এ সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় সঞ্জিতার ছোট ছেলে সামান্য আহত হয়।হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল করিম জানান, জিপ গাড়িটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন।কক্সবাজার: কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের রামুর রাবেতা নামক স্থানে গত শুক্রবার সকালে লবণবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা গ্রামের কবিন দাশ (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী উত্তমী দাশ (৩০)।রামুর তুলাবাগান হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় অন্তত ১৩ যাত্রী আহত হয়েছে।ফেনী: পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়কের ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর কন্ট্রাকটর মসজিদ নামক স্থানে একটি দ্রুতগামী বাস মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগ (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি মারা যান। তিনি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা গ্রামে।সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম): স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার মালেক মেম্বারের ব্রিকফিল্ড এলাকায় গত শুক্রবার বিকেলে বাসের ধাক্কায় পথচারী মোস্তাক আহমদ (৭০) নিহত হয়েছেন। এ সময় বাসটি অন্য একটি অটোরিকশাকেও ধাক্কা দেয়। এতে চারজন আহত হয়। আহত ব্যক্তিরা হলেন সাতকানিয়া উপজেলার ফজুরপাড়া এলাকার জাহেদুল ইসলাম, বান্দরবানের আবদুর রহিম ও তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম এবং কুমিল্লার মো. মহসিন।নিহত মোস্তাক আহমদের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেমশা কাজীরখীল গ্রামে।দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম কাওছার চৌধুরী জানান, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। বাসটি আটক করে হাইওয়ে থানায় আনা হয়েছে।
135,914
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ আগস্ট ২০১৬, ০১:২৬
০৯ আগস্ট ২০১৬, ০১:২৭
পঞ্চগড়,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
যেকোনো মূল্যে বোমা মেশিন বন্ধের ঘোষণা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/940249
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন যেকোনো মূল্যে বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভা থেকে এ ঘোষণা এসেছে।জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডলের সভাপতিত্বে সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিক, গণমাধ্যমকর্মী, পাথর-বালু ব্যবসায়ী ও বোমা মেশিনের কারখানার মালিকেরা অংশ নেন। তাঁরা বোমা মেশিন বন্ধ করতে যেকোনো উদ্যোগে সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।সভায় বলা হয়, পাঁচ-ছয় মাস ধরে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বোমা মেশিন বসিয়ে অবাধে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। তেঁতুলিয়া থানার পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে বোমা মেশিনের রাশ টানা যাচ্ছে না।বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তারেকুজ্জামান বলেন, ‘তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ বোমা মেশিন বন্ধের ব্যাপারে আন্তরিক নয়।’ একই ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন মণ্ডলসহ অনেকে।বক্তারা অভিযোগ করেন, বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে কথা বললে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নানা হয়রানিমূলক আচরণ করে তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ। থানার ওসি সুরেশ চন্দ্র নিজেই এসব হয়রানির সঙ্গে জড়িত।সভায় গণমাধ্যমকর্মী ডিজার হোসেন বলেন, বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে তাঁর একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এরপর গত ২৭ জুলাই রাত ১২টার দিকে ওসি সুরেশ চন্দ্র ভজনপুর বাজারে তাঁকে ডেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাঁকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি ব্যর্থ হয়েছি। ওসি বোমা মেশিন বন্ধের ব্যাপারে আন্তরিক নন।’ ওসি সুরেশ চন্দ্র এ সভায় উপস্থিত ছিলেন না।তবে সভায় পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি এ রহমান মুকুল বলেন, কেবল পুলিশকে দায়ী করলে চলবে না। অনেক রাজনৈতিক নেতাও এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পাথর-বালু ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আবু সালেক বলেন, সাধারণ মানুষকেও বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ গোলাম আজম বলেন, ‘ভজনপুর এলাকাতেই এ-জাতীয় মেশিন বেশি তৈরি হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।’ এ সময় ভজনপুর এলাকার একটি কারখানার মালিক শাহজালাল বলেন, ‘আমরা আর বোমা মেশিন তৈরি করব না।’সভায় মাঝিপাড়া এলাকার ফরিদ হোসেন, ভজনপুর এলাকার আবু বক্কর ও শান্তিনগর এলাকার আবদুল হামিদের নাম উঠে আসে। তাঁরা মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর তুলে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ প্রতিটি ইউনিয়নে বোমা মেশিনবিরোধী কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। সভায় প্রস্তাবটি সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়। জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘আপনাদের মূল্যবান সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে যেকোনো মূল্যে বোমা মেশিন বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
248,078
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:২২
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:২৫
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
পিএসএলের ফাইনাল পাকিস্তানে, ‘পাগলামি’ বললেন ইমরান
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1092115
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার আগামী ৫ মার্চ লাহোরে পিএসএলের ফাইনাল আয়োজনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেনে, কিসের ভিত্তিতে পাকিস্তানে পিএসএলের ফাইনাল আয়োজন করতে চাওয়া হচ্ছে? এটা তো কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচও নয়।পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান দাবি করেছেন, পাকিস্তানের মাটিতে পিএসএলের ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন ‘স্রেফ পাগলামি’। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার ৫ মার্চ লাহোরে পাকিস্তান সুপার লীগের ফাইনাল আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ইমরান খান। পাকিস্তানের সামা টিভিতে এক টক শোতে তিনি বলেন, ‘খোদা না করুক ওই সময় লাহোরে যদি কোনো বোমা হামলা হয় না তাহলে পাকিস্তানে আরও ১০ বছর কোনো ক্রিকেট খেলা হবে না। পরিস্থিতি অনুসারে এখন এই সিদ্ধান্ত স্রেফ পাগলামি।’পাকিস্তানে সম্প্রতি বোমা হামলা প্রসঙ্গ টেনে ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানো এই অলরাউন্ডার বলেন, পিএসএলের ফাইনাল পাকিস্তানে কেন আয়োজন করতে চাওয়া হচ্ছে? এমনকি এটা তো কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচও নয়।রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-তালেবানের (পিটিআই) এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘আমার মতে এটি একটি ভয়ংকর চিন্তা। এই ম্যাচ আয়োজন উপলক্ষে নিরাপত্তার জন্য হয়তো আমরা সেনাবাহিনী নামাব। সড়ক অবরোধ করে খেলা আয়োজন করব। এসব প্রক্রিয়া কোনো শুভবার্তা বয়ে আনবে না।’এ বছরে দেশটিতে বেশ কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় শতাধিক লো​কের মৃত্যু হয়েছে।আরও পড়ুনপরিস্থিতি বদলালে পাকিস্তানে যেতে চান সাকিব
297,434
আশীষ-উর-রহমান
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:১৫
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:১৭
রাজধানী (জাতীয়)
0
মেলা চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/157066
মেলার শেষ, খেলার শুরু। মিলে গিয়েছিল দুটি একত্রে। গতকাল বুধবার বিকেলে এই যুগলবন্দীর তীব্র ভিড় ছিল টিএসসির মোড়ে।অমর একুশে গ্রন্থমেলার আগামীকাল শেষ দিন। মেলার শেষ দিনগুলোতে ক্রেতার ভিড় বেশি থাকে। যথারীতি তা-ই ছিল গতকালও। ওদিকে ফতুল্লায় চলছিল বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ। মিলন চত্বরে বিরাট পর্দা টানিয়ে দেখানো হচ্ছিল সেই ম্যাচ। ফলে রাজু স্মারক ভাস্কর্য থেকে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা হয়ে মিলন চত্বর অবধি ক্রিকেটামোদীদের বিপুল সমারোহ। মেলা আর খেলায় টিএসসি কাল বিকেলে হয়ে উঠেছিল জনসমুদ্র।সেই ভিড় ঠেলে আসা ক্রেতারা উদ্যান আর একাডেমি উভয় অংশেই পছন্দের বই কেনাকাটা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। প্রকাশকেরা জানালেন, কৃপা হয়েছে বাংলা একাডেমির। সময় বাড়ানো হয়েছে রাত নয়টা পর্যন্ত। এই শেষ দুই দিনও মেলা রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। অথচ এই আধা ঘণ্টার জন্য মেলার শুরু থেকে কতই না আবেদন-নিবেদন জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা।বিক্রি প্রত্যাশামতোইনতুন জায়গা হলেও মোটের ওপর মেলাটি এবার ভালোই হলো বলে জানালেন প্রকাশকেরা। গতকাল সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ ও অনিন্দ্য প্রকাশনীর আফজাল হাসেনের সঙ্গে কথা হলো। তাঁরা জানালেন, একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে উদ্যানে সরে এলেও তাঁদের প্রত্যাশামতোই বিক্রি হয়েছে। ভেতরে পরিসর বাড়ায় ক্রেতারাও স্বস্তিতে কেনাকাটা করেছেন। তবে এত বড় মাঠে বসার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা ক্লান্ত বোধ করেছেন। আগামীবারের জন্য এ বিষয়টিও বিবেচনা করা দরকার। পাশাপাশি মেলার এই অংশে এবার একাডেমির পক্ষ থেকে পরিদর্শক দল নিয়মিত না আসায় প্রচুর ‘পাইরেটেড’ বই বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর প্রবেশপথগুলো ভালো করা, শৌচাগার স্থাপন, উন্মুক্ত মঞ্চটি মেলা প্রাঙ্গণে এনে সেখানে অনুষ্ঠান করা, পাঠকদের বসার জন্য একটি ব্যবস্থা করা হলে মেলাটি আরও সুন্দর হবে। কারণ এই মেলা কেবল বই কেনাবেচার জন্য নয়, গ্রন্থানুরাগী আর লেখকদের একটি আড্ডার জায়গাও।পুরস্কারপাক্ষিক আনন্দ আলো প্রবর্তিত ‘সিটি-আনন্দ আলো’ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪ ঘোষণা করা হলো গতকাল নজরুল মঞ্চে। যাঁরা পুরস্কার পেলেন: প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত চাবিকাঠির খোঁজে: নতুন আলোকে জীবনানন্দের বনলতা সেন বইটির জন্য সেরা প্রবন্ধগ্রন্থের জন্য আকবর আলি খান। কবিতায় আসাদ চৌধুরী পেয়েছেন ম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই ফুলটির অন্তত দশ দশটি প্রেমপত্র পাওয়ার কথা কাব্যের জন্য। উপন্যাসে মঈনুল আহসান সাবের আখলাকের ফিরে আসা দিব্যপ্রকাশ, মোহিত কামাল পথভ্রষ্ট ঘূর্ণির কৃষ্ণ গহ্বর বিদ্যা প্রকাশ, শিশু সাহিত্যে আলী ইমাম জৈন্তা বনে কালো জাদু বাংলা প্রকাশ ও মাহবুবা চৌধুরী সময় কাটুক ছড়ার সাথে মিজান প্রকাশনী। প্রথম বইয়ের জন্য দুই তরুণ মহিম সন্ন্যাসী পেয়েছেন কবিতায় ভাঙা শামুকের বয়ঃসন্ধি, অর্বাক প্রকাশনী ও উপন্যাসে রাতুল হাসান ফেরার কোন পথ থাকে না, আফসার ব্রাদার্স।মোড়ক উন্মোচন ও নতুন বইমোড়ক উন্মোচন নিয়ে নজরুল মঞ্চ আগের মতোই সরগরম। কালও ১৪টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।প্রথমার স্টলে গতকাল নতুন এসেছে এম সাখাওয়াত হোসেনের প্রবন্ধ বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার ১৯৭২-২০০৮। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং তা পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিটি কতটা গুরুত্ব পেয়েছে, নির্বাচনী সংস্কারের লক্ষ্যে এ যাবৎ দেশে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা কতটা সফল হয়েছে, এ ক্ষেত্রে আরও কী কী করণীয়—এ সবই বইটিতে আলোচনা করেছেন লেখক।এ ছাড়া নতুন বইয়ের মধ্যে ছিল ফেয়ার পাবলিশিং হাউস থেকে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের প্রবন্ধ জীবন যখন যেমন, অনিন্দ্য থেকে হাসান হাফিজের প্রবন্ধ বহুমাত্রিক রবীন্দ্রনাথ ও সময় থেকে সাক্ষাৎকারবিষয়ক এক ডজন হুমায়ূন, কথা প্রকাশ থেকে মোকারম হোসেনের প্রকৃতিবিষয়ক বাংলার শতফুল, পালক পাবলিশার্স থেকে রণজিৎ বিশ্বাসের প্রবন্ধ হূদয়ের ক্ষরণ কথা, নবযুগ থেকে জ্যোতি প্রকাশ দত্তের গল্প হীম জীবন, ইত্যাদি থেকে বেলাল চৌধুরীর প্রবন্ধ নবরাগে নব আনন্দে, শহীদুল আলমের গবেষণাগ্রন্থ সূর্যসেন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম, চন্দ্রাবতী একাডেমী থেকে আমিরুল ইসলামের শিশুতোষ আকাশ কুসুম রূপকথা, ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প ব্রাজিলের মাকড়সা ও আরও একটি গল্প, সংহতি থেকে রাজু আলাউদ্দিনের প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথ অন্য ভাষায় অন্য আলোয়, সংঘ প্রকাশ থেকে দাউদ হোসেন অনূদিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে লেখা আইরিন চ্যাঙের দি র‌্যাপ অব নানকিং ইত্যাদি।এ ছাড়া এবার মেলায় এসেছে অনুপম প্রকাশনী থেকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছড়ার বই ভয় কিংবা ভালোবাসা। মাওলা ব্রাদার্স থেকে এসেছে সোহরাব হাসানের কবিতার বই ভুল করে বেঁচে আছি। আগামী থেকে এসেছে আসাদ মান্নানের কবিতার বই যে অন্ধ জলের রাজা, ঝিনুক থেকে রবিউল হোসেনের প্রবন্ধ আরণ্যক ও অন্যান্য প্রবন্ধ, সজাগ থেকে আবদুল মতিন সম্পাদিত রবীন্দ্রনাথের উন্নয়ন ভাবনা, সাময়ন প্রকাশন থেকে আবদুল কাদের মুন্নার বন্ধুত্ব-প্রেম ও আজকের সমাজ।
54,497
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪০
০৮ আগস্ট ২০১৩, ০১:৫২
সরকার
null
গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার এখন বাড়ছে না
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/36650
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যগুলো তাঁর (ইউনূসের) ‘মস্তিষ্কপ্রসূত’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে প্রায়ই দুটি কথা বলেন। সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার এটা করছে, ওটা করছে। এই কথাগুলো তাঁর (ইউনূসের) মস্তিষ্কপ্রসূত। এটা আটারলি ননসেন্স।’গতকাল বুধবার সকালে শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেকটিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের ২৫ শতাংশ শেয়ারই থাকবে।অর্থমন্ত্রী আরও জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা কিংবা ব্যবস্থাপনাশৈলীতে কোনো পরিবর্তন করার ইচ্ছা সরকারের নেই। তবে পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক নির্বাচনের বিধিমালায় শিগগিরই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কেননা, এ বিষয়ে নির্দেশনা আছে, বর্তমান নির্বাচনপদ্ধতি অবৈধ।গ্রামীণ ব্যাংকের শেয়ার সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী জানান, যখন গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়, তখন ৬০ শতাংশ ছিল সরকারের হাতে, আর শেয়ারধারীদের কাছে ছিল ৪০ শতাংশ। তখন বলা হয়েছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারধারীদের (ঋণগ্রহীতা সদস্য) শেয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হবে। বর্তমানে ৫৩ লাখ শেয়ার রয়েছে, এই সংখ্যা ৮৩ লাখে উন্নীত করা হবে। তিনি জানান, আইনানুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ারের হার ২৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও এত দিন সরকার বিনিয়োগ করেনি। এতে কিছু অসুবিধা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ২৫ শতাংশই থাকবে।প্রসঙ্গত গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ারের পরিমাণ ৫১ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে গ্রামীণ ব্যাংক অনুসন্ধান কমিশন। গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩-এর খসড়ার ওপর ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠেয় আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের কার্যপত্রেও গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের ২৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসলাম আলম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ১৯৮৩-এর পরিবর্তে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে চালু অধ্যাদেশের ধারাগুলোকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে জারি হওয়া সব অধ্যাদেশই বাতিলের কাজ চলছে। তার অংশ হিসেবে এটিও করা হচ্ছে বলে প্রথম আলোকে বলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসলাম আলম।কার্যপত্রে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হবে ৩৫০ কোটি টাকা, যা প্রতিটি ১০০ টাকার তিন কোটি ৫০ লাখ শেয়ারে ভাগ করা থাকবে। এ ছাড়া ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন করা হবে ৩০০ কোটি টাকা। এতে সরকারের অংশ থাকবে ২৫ শতাংশ। আইনে আরও বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক স্থাপিত, পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রিত এমন কোনো সংস্থা বা সংগঠন কর্তৃক সরকার যে পরিমাণ স্থির করবে, সেটি হবে অনুমোদিত মূলধন।নির্বাচনপদ্ধতির বিধিমালার খসড়ায় যা আছে: পরিচালক নির্বাচনপদ্ধতির খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, শেয়ারধারী নয়জন নারী পরিচালক একযোগে নির্বাচিত হবেন না। আবার একটানা তিন বছরও থাকতে পারবেন না। প্রতিবছর পরিচালনা পর্ষদের এক-তৃতীয়াংশ বা তিনজন করে পরিচালক নির্বাচিত হবেন। আর প্রতিবছর তিনজন করে পরিচালক পর্ষদ ছেড়ে যাবেন, যাঁরা পরের দুই বছর নির্বাচন করতে পারবেন না। প্রত্যেক পরিচালকের মেয়াদ হবে তিন বছর। কখনোই গ্রামীণফোনের শেয়ার ছিল না: এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হকের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে গ্রামীণফোন। গতকাল পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রামীণফোন কোম্পানির নীতি ও স্টক এক্সচেঞ্জের বিধিমালা অনুযায়ী লভ্যাংশ দেয়, গ্রামীণফোনের শেয়ারধারীদেরই লভ্যাংশ দেওয়া হয়। গ্রামীণফোনের ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ারধারী টেলিনর। ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার গ্রামীণ টেলিকমের। আর ১০ শতাংশ শেয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে কখনোই গ্রামীণফোনের শেয়ার ছিল না, এখনো নেই।প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট গ্রামীণ ব্যাংক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছেন, গ্রামীণফোনের ১০ হাজার কোটি টাকার লভ্যাংশ গ্রামীণ ব্যাংক পায়নি। নিউইয়র্ক টাইমস-এর সম্পাদকীয়: গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ৬ আগস্ট সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। এতে বলা হয়েছে, দুই বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংক ও এর প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ধ্বংসাত্মক প্রচারণা চালাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। ২০০৭ সালে রাজনীতিতে নামার ঘোষণা এবং জনমত যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। যদিও তিনি তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরে আর মনোযোগী হননি। তবুও শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখে মনে হয়, ওই সময় মুহাম্মদ ইউনূসের রাজনীতিতে নামার ইচ্ছারই বর্তমানে পাল্টা জবাব দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।এতে বলা হয়, ২০১১ সালে ৬০ বছর বয়স হয়ে গেছে বলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয় মুহাম্মদ ইউনূসকে। যদিও এর আগে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাঁকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকতে অনুমোদন দেয়। তারপর গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকার তদন্ত করে এবং সম্প্রতি একে ১৯ টুকরা করতে চাচ্ছে।সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের প্রতিবেদন সরকার আগামী সপ্তাহে পাবে। এতে গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙা বা একে জাতীয়করণ করার সুপারিশ রয়েছে। স্থানীয় পত্রিকার বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে যে সুপারিশই হোক না কেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন আগামী নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা সেগুলো বাস্তবায়ন করতে যাবেন না। কারণ, এ বছরের শেষ নাগাদই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সংসদ নির্বাচন। আর গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ও ঋণগ্রহীতা সবাই একেকজন ভোটার।
8,274
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৪৫
০৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৪৭
রাজধানী (জাতীয়)
null
ভ্রষ্ট পথে নষ্ট রাজনীতির সূচনা হয়েছে: খালেকুজ্জামান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1587170
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল যে আশা-আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে এই জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, লড়েছিল, সেটি থেকে বিচ্যুত হয়ে একটি ভ্রষ্ট পথে নষ্ট রাজনীতির সূচনা হয়েছে এ দেশে। সেটি চলতে চলতে আজকে এই পরিণতিতে এনে গোটা দেশকে দাঁড় করিয়েছে।আজ শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এক আলোচনা সভায় বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।খালেকুজ্জামান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সংঘাত হলো। পরে চুক্তি হলো। তখনই বলা হয়েছিল, এই চুক্তিটি একটি সান্ত্বনা চুক্তি। ওরা পার্বত্য চুক্তিকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বলে। আসলে এটা শান্তি চুক্তি না, এটা পার্বত্য চুক্তি। তিনি বলেন, যখনই একটি শোষণমূলক ব্যবস্থা চালু হয়, শোষক শ্রেণির দায়িত্ব হয় শোষিত শ্রেণিকে বিভক্ত করা। তাদের শোষণ আর বিভাজনের কারণে যে বৈষম্য তৈরি হয়, সেটার বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়। একটি বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আরেকটি জনগোষ্ঠীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করা হয় এবং তাদের বিভক্ত করা হয়।মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান আরও বলেন, পাহাড়ি পাহাড়ি বলে তাদের বিচ্ছিন্ন করা হয়। তারা বাংলাদেশের নাগরিক। যেমন একটি ধোয়া তোলা হলো, পাহাড়িরা আলাদা হয়ে যেতে চায়। এমন একটি ভুয়া কথা বলে সেখানে সামরিক শক্তিতে দমন করতে হবে এবং এদের সংখ্যালঘিষ্ঠ করে ফেলতে হবে। এসব চক্রান্ত শাসক গোষ্ঠী করে। সেখানে পাহাড়ি, বাঙালি, দরিদ্র জনগোষ্ঠী ৯৫ শতাংশ মানুষই নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার।জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা রজত হুদা বলেন, চট্টগ্রামে যে শোষণ, লুণ্ঠনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা সারা দেশে বিরাজ করছে। তিনি বলেন, পাহাড়ে ও সমতলে মানুষকে বাঁচাতে হলে প্রগতিশীল লোকদের সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মিটিং, মিছিল, সমাবেশের অধিকার নেই। সমতলে গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের আন্দোলন যেভাবে বাধা দেওয়া হয়, তার চেয়েও বেশি বাধা দেওয়া হয় পাহাড়ে। তিনি অভিযোগ করেন, পাহাড়ে একের পর এক হত্যার ঘটনা ঘটছে। কারা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে? নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হত্যায় কারা জড়িত? অথচ সাধারণ জনগণকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদস্য সুপ্রিতি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশ একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে। বিনা মামলা, পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সমতলে যেভাবে ক্রসফায়ার চলছে, পাহাড়ে অন্যরূপে ক্রসফায়ার চলছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক হত্যা চলছে। প্রতিরোধ ছাড়া তাঁদের কোনো বিকল্প নেই।আলোচনা সভা চলার সময় পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিচয় দিয়ে মো. মাঈন উদ্দিন নামের একজন আলোচনায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখন আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি আমন্ত্রিত অতিথি নন, তাই তাঁকে আলোচনায় অংশ নেওয়া সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। তখন মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এখানে পাহাড় ও সরকার নিয়ে বিভিন্ন ‘অসত্য’ কথা বলা হচ্ছে। তাঁকে কথা বলতে না দেওয়া গণতন্ত্র বিরোধী কাজ হবে। এ পর্যায়ে আলোচনা সভায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ সময় দুই-একজন বলেন, আসলে মাঈন উদ্দিনকে কেউ পাঠিয়েছে, তিনি নিজে এখানে আসেননি। কিছুক্ষণ বিশৃঙ্খলা চলার পর তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।এরপর মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বিভিন্ন সাজানো, সৃজিত বক্তব্য দেওয়া হয়। এসব সৃজিত বক্তব্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে না। তিনি দাবি করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সমস্যা, তা রাষ্ট্রীয় বাহিনী, সরকার বা বাঙালি সৃষ্টি করছে না। সেখানে অন্যতম একটি সমস্যা ভূমি সমস্যা। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সম্পূর্ণ একতরফা কাজ করছে।জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেখক সমিতির সভাপতি হাসিবুর রহমান, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পক্ষে নাসিরউদ্দিন এলান, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুনয়ন চাকমা প্রমুখ।
396,688
বাগেরহাট প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৯
১৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫০
বাগেরহাট,অপরাধ,রাজশাহী বিভাগ
0
বাঘের চামড়াসহ ৩ জন আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/423256
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেঙ্গল টাইগারের (বাঘ) একটি চামড়া ও কিছু হাড়সহ অন্তত দুই ব্যক্তিকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।একটি সূত্র জানায়, মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই চামড়া ও হাড়সহ দুই থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বাড়ি জেলার শরণখোলা উপজেলায়। তবে তাঁরা শিকারি না পাচারকারী, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মোরেলগঞ্জের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যা ব) সদস্যরা ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে একটি বাঘের চামড়া ও কিছু হাড়সহ আটক করেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সুন্দরবনের একটি সংঘবদ্ধ চোরা শিকারি দলের সদস্য। রাতেই র্যা ব সদস্যরা আটক ব্যক্তিদের নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন বলে জানা যায়।সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আমির হোসাইন চৌধুরী বাঘের চামড়া উদ্ধারের খবর শুনেছেন বলে রাতে জানিয়েছেন। তবে তা উদ্ধার বা আটকের বিষয়ে তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানান।পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ ধরনের একটি খবর আমরা জেনেছি। তবে র্যা ব আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানায়নি।’
106,699
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৮:৪৮
২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৬
খালেদা জিয়া,আইন ও বিচার,বিএনপি,রাজনীতি
0
আইনজীবীর মাধ্যমে আজ হাজিরা দেবেন খালেদা জিয়া
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1433616
• বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা। • ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় দুদক মামলাটি করে। • খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা। • খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন।বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আজ রোববার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে হাজির করানোর দিন ধার্য রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদাকে হাজির করার নির্দেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২।বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় দুদক এ মামলাটি করে।তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘বকশীবাজারের আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের একটি বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। আজ তাই খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হবে না। তাঁর পক্ষে আদালতে তিনি হাজিরা দেবেন বলে জানান।কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরার জন্য পুলিশ নিতে এলে তাদের সহায়তা দিতে কারারক্ষীদের একটি দল প্রস্তুত রয়েছে। যেহেতু খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন, সে জন্য আদালত তাঁর হাজিরা পরোয়ানা বা পিডব্লিউ (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) কারাগারে পাঠিয়েছেন।পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী খালেদার কাছে কোন মামলার হাজিরা পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে, তা জানতে শনিবার বেলা তিনটার দিকে কারাফটকে যান খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জানতে পারলাম বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলায় পিডব্লিউ হয়েছে।’জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন। ওই রায় ঘোষণার দিনই খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে রাখা হয়। এরপর থেকে সেখানকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারের আশপাশের বাসিন্দাদের চলতে হচ্ছে ভিন্ন পথে। পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ কাউকে চলতে দিচ্ছে না। চকবাজারের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, কারাগারের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকার ব্যবসায়ীদের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
355,432
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৫
২৫ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৬
-1
0
আবদুল হাই খান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1027723
নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা আবদুল হাই খানের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৫ নভেম্বর। এ উপলক্ষে বাদ জুমা রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি মসজিদে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত থাকতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।
268,481
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও বরিশাল অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ মে ২০১৪, ০২:৪৬
০৪ মে ২০১৪, ০২:৪৬
বরিশাল বিভাগ
0
শীতলক্ষ্যা ও কীর্তনখোলায় আরও ২ লাশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/207763
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী ও বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে গতকাল শনিবার অজ্ঞাত-পরিচয় দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসনকেন্দ্রের বাগুনচর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বেলা ১১টার দিকে একটি লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।রূপগঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান মিয়া জানান, লাশটির মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিন-চার দিন আগে তাঁকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।এদিকে গতকাল সকালে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি পচে যাওয়ায় চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে।বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম জানান, লাশটির পেট কাটা ও শরীরের সঙ্গে ইট বাঁধা ছিল। পচে যাওয়ায় লাশের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। পেট কাটা থাকলেও শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
70,484
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ আগস্ট ২০১৫, ২০:০৮
২৪ আগস্ট ২০১৫, ২০:৫৩
-1
0
শাহবাজপুর সেতুতে ২৮ আগস্ট যান চলাচল বন্ধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/611656
মেরামত কাজের সুবিধার্থে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর-সরাইলের মধ্যবর্তী শাহবাজপুর সেতু দিয়ে আগামী ২৮ আগস্ট শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।আজ সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এ সময় যানবাহনকে হবিগঞ্জের মাধবপুরের চান্দুরা হয়ে আখাউড়া দিয়ে বিকল্প সড়কে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
162,450
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:১৮
১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৩
নির্বাচন,আওয়ামী লীগ,তারেক রহমান,বিএনপি,ওবায়দুল কাদের
null
তারেকের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে ইসিকে কাদেরের অনুরোধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1565710
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ রোববার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান একজন দণ্ডিত অপরাধী। তিনি পলাতক। তিনি একটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন। তারেক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি না, তা বিবেচনা করার দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান কাদের। নির্বাচন কমিশনকেও অনুরোধ জানিয়ে কাদের বলেন, ‘তারেকের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া কতটা সংগতিপূর্ণ, তা আপনারা খতিয়ে দেখবেন।’দলের মনোনয়ন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। বর্তমানে যাঁরা সাংসদ আছেন, তাঁদের থেকে খুব বেশি বাদ পড়বেন না। আগের জরিপে দেখা গিয়েছিল, অনেক সাংসদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা কমেছিল। কিন্তু সর্বশেষ মার্চ মাসের জরিপে দেখা গেছে, ওই সাংসদেরা তাঁদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ফিরে পেয়েছেন। তাই খুব বেশি সাংসদ এখান থেকে বাদ পড়ছেন না।’ এ ছাড়া ১৪ দলে যাঁরা সাংসদ আছেন, তারাও মনোনয়ন পাবেন এবং জোটের অন্য শরিকেরা যাঁরা সংসদ হওয়ার সম্ভাবনা রাখেন, তাঁরাও মনোনয়ন পাবেন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার আজ রোববার শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
382,804
পলাশ বড়ুয়া, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:১১
২৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:১১
দীঘিনালা,আমার চট্টগ্রাম
0
নামেই তাঁত প্রশিক্ষণ ও বস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/129169
সামনে সুন্দর পরিচিতি ফলক (সাইনবোর্ড) দেখে মনে হলো, অনেক বড় একটি কাজের প্রতিষ্ঠান। হয়তো কাজ শিখতেও ব্যস্ত অনেক প্রশিক্ষণার্থী। কিন্তু ভেতরে ঢুকেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। ধুলাবালু মাখা তাঁতযন্ত্রগুলো অলস পড়ে আছে। স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে পড়ে থেকে বেশির ভাগ যন্ত্র প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। প্রশিক্ষণ কক্ষের অবকাঠামো জরাজীর্ণ। চালে মাকড়সার জাল। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন মাত্র দুজন প্রশিক্ষণার্থী।চিত্রটি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) তাঁত ও বস্ত্র উৎপাদন এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের। কুটির শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন ও প্রদর্শন, এ ব্যাপারে এলাকার লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মমুখী করে তোলার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরু থেকে কেন্দ্রটির কার্যক্রম ভালোভাবে চললেও ২০০৮ সালে প্রকল্পের মেয়াদ ও অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে থেমে যায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও। পাঁচ বছর পর গত বছর নভেম্বর থেকে প্রকল্পটি চালু হলে চারজন মাত্র প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে তিন মাসের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নামেমাত্র শুরু হয়। এদের মধ্যে দু-একজন প্রায় সময় অনুপস্থিত থাকেন।১৯ জানুয়ারি সরেজমিন জানা যায়, শুরু থেকে এখানে কাজ করছেন তাঁত সহকারী সুজিতা চাকমা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর এখানে আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তাঁত, সেলাই, কার্পেন্টারি এবং বাঁশ ও বেতের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। আমরা প্রশিক্ষকেরা বিশ্রাম নিতে পারতাম না। এখন বলতে গেলে কাজই নেই। প্রশিক্ষণার্থীও পাওয়া যায় না। অলস সময় কাটাই।’তিনি জানান, কেন্দ্রের সব কক্ষেই বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি পড়ে। এমনকি কার্যালয়েও বসা যায় না। দরজা, জানালা ভাঙা। দীর্ঘদিন চালু না থাকায় ১৪টি তাঁতযন্ত্রের মধ্যে ১২টিই নষ্ট হয়ে পড়েছে। একসময়ের লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি এখন লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। পাঁচ বছর বন্ধ থাকার কারণে তাঁতঘরের অবস্থা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুরু থেকে কেন্দ্রে প্রশিক্ষণভাতা দেওয়া হয় মাসে মাত্র ৩০০ টাকা। বর্তমানেও এ ভাতা বাড়ানো হয়নি। এত কম টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। গত নভেম্বরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গ্রামে গ্রামে ঘুরে অনেক বুঝিয়ে চারজন প্রশিক্ষণার্থী পাওয়া গেছে।প্রশিক্ষণার্থী রেকি চাকমা ও বিপুলা চাকমা বলেন, ‘গত নভেম্বর মাস থেকে কাজ শিখছি। মাসে ৩০০ টাকা ভাতায় পোষায় না। বাড়ির পাশে প্রশিক্ষণকেন্দ্র বলে কোনো রকমে চালিয়ে নিচ্ছি।’ তাঁরা জানান, ভাতা বাড়িয়ে দিলে অনেক মেয়ে কাজ শিখতে আসত।জানতে চাইলে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিরালয় চাকমা প্রশিক্ষণকেন্দ্রের বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সার্বিক অবস্থার কথা কর্তৃপক্ষ জানেন। তাঁদের নির্দেশনার বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।’
45,847
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:৩৬
০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:১৪
শেরপুর,আইন ও বিচার,রাজশাহী বিভাগ,বগুড়া
null
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1031681
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাড়িয়ে দেওয়া, পথে তাঁর সন্তান প্রসব ও মৃত্যুর অভিযোগ তদন্ত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৪ ডিসেম্বর আদালতে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সকে তলব করেছেন আদালত। তাঁদেরও ১৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন।একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে তা বিবেচনায় নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।‘তাড়িয়ে দিল নার্স, মাঠে প্রসব: নবজাতকের মৃত্যু’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি আজ একটি জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়। এটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী শামিম সরদার।পরে শামিম সরদার প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবেদনটি আমলে নিয়েছেন আদালত। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন। গাফিলতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব, বগুড়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।অারও পড়ুন : প্রসবকক্ষে জায়গা হলো না অন্তঃসত্ত্বার!
270,191
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
৩০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:১৩
৩০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:১৬
সংগীত
0
এক মঞ্চে বাবা-মা-মেয়ে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1420531
• একই অনুষ্ঠানে পরিবারের তিন সদস্য অংশ নেবেন। • অনুষ্ঠানের নাম ‘একই বৃন্তে পুষ্পত্রয়ী’• মুনমুন আহমেদের সঙ্গে কত্থক নৃত্যে অংশ নেবেন অপরাজিতা মোস্তফা। সঙ্গে সুজিত মোস্তফা গাইবেন গান।একই অনুষ্ঠানে পরিবারের তিন সদস্য অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানের নাম ‘একই বৃন্তে পুষ্পত্রয়ী’। নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদের সঙ্গে কত্থক নৃত্যে অংশগ্রহণ করবেন মেয়ে অপরাজিতা মোস্তফা। সঙ্গে মুনমুনের স্বামী সংগীতশিল্পী সুজিত মোস্তফা গাইবেন গান।৩১ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে হবে এই আয়োজন। আয়োজন করেছে রেওয়াজ পারফরমার্স স্কুল। অনুষ্ঠানে যন্ত্রসংগীত সহযোগিতায় থাকবেন বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীরা। বাংলাদেশের অপূর্ব দেব বাজাবেন তবলা, গিটারে থাকবেন নাসির উদ্দীন ও কি-বোর্ডে বিনোদ রায়। ভারত থেকে এসেছেন সুবীর ঠাকুর (তবলা) ও সন্দীপ নিয়োগী (সেতার)।
353,258
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
২৬ জুলাই ২০১৪, ০০:১৯
২৬ জুলাই ২০১৪, ০০:২০
হলিউড,বিনোদন
0
বেলের নতুন ছবি
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/277330
ব্যাটম্যানের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। তাই বলে বিপদাপন্ন মানুষকে আর উদ্ধার করবেন না? তা হতে পারে না। দ্য ডিপ ব্লু গুড-বাই নামের নতুন ছবিতে ট্রাভিস ম্যাকগি চরিত্রে অভিনয় করবেন ক্রিশ্চিয়ান বেল। এই ছবিতে বিপদগ্রস্ত মানুষের হয়ে লড়াই করতে দেখা যাবে তাঁকে।জেমস ম্যানগোল্ড ছবিটি পরিচালনা করবেন। ফক্সের ব্যানারে নির্মিত হবে ছবিটি। সম্প্রতি ফক্সের ব্যানারে এক্সোডাস: গডস অ্যান্ড কিংস নামের আরেকটি ছবিতে কাজ করেছেন বেল। ১২ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি। পিটিআই।
81,005
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৩০
১৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৩১
বাগমারা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
বাগমারার জলাশয় থেকে সোঁতিজাল অপসারণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1022383
অবশেষে রাজশাহীর বাগমারার একটি নদ ও দুটি বিল থেকে অবৈধ সোঁতিজাল অপসারণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব জলাশয়ে সোঁতিজাল স্থাপন করে মাছ ধরছিলেন।বাগমারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এলিজা খাতুন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা বারনই নদ ও কয়েকটি বিলে অবৈধ সোঁতিজাল স্থাপন করে মাছ ধরে আসছিলেন। তাঁরা জাল পাতায় ওই সব জলাশয়ে আর সাধারণ জেলেরাও মাছ ধরতে পারছিলেন না। সোঁতিজাল স্থাপন করায় বিল থেকে পানিও অপসারণ হতে সমস্যা হচ্ছিল। এ জন্য রবিশস্য চাষাবাদেও বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন চাষিরা। এই নিয়ে প্রথম আলোয় সংবাদও প্রকাশিত হয়।মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে বারানই নদের হাসনিপুর ও লাউপাড়ায় স্থাপন করা সোঁতিজাল অপসারণ করা হয়। পরে উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের যশোপাড়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের ষষ্ঠিখালী খালের মুখে বসানো আরও দুটি সোঁতিজাল অপসারণ করা হয়। অপসারণের খবর পেয়ে প্রভাবশালীরা পালিয়ে যান।
266,146
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২৩ অক্টোবর ২০১৬, ২১:২৯
২৩ অক্টোবর ২০১৬, ২১:৩২
মোবাইল ফোন
0
বাংলালিংক আনল ‘আইটেল ইট ৩৩৫’ স্মার্টফোন
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1005957
‘আইটেল ইট ৩৩৫’ নামের একটি স্মার্টফোন উন্মুক্ত করেছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক।অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১.২ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর প্রসেসর, সাড়ে তিন ইঞ্চি মাপের ডব্লিউভিজিএ স্ক্রিন, ৫১২ মেগাবাইট র‍্যাম, ৪ গিগাবাইট রম, ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়তি মেমরি ব্যবহারের সুবিধা। এর ব্যাটারি ১ হাজার ৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার।স্মার্টফোনটির সঙ্গে বান্ডিল প্ল্যান ঘোষণা করেছে বাংলালিংক। বান্ডিল অফার হিসেবে রয়েছে বিনা মূল্যে ৬ গিগাবাইট ডেটা, ৯০০ মিনিট টক টাইম। ফোনের দাম ২ হাজার ৫৯৯ টাকা। বিজ্ঞপ্তি।
258,339
বগুড়া প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ আগস্ট ২০১৫, ০২:২৮
২০ আগস্ট ২০১৫, ০২:৩০
বিশাল বাংলা,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ
0
খানাখন্দে ভরা রাস্তা, মানুষের ভোগান্তি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/607495
বগুড়া শহরের অধিকাংশ সড়কই এখন ক্ষতবিক্ষত, ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা। ফলে দুর্ভোগ-ভোগান্তিতে রয়েছেন পৌরসভার প্রায় সাত লাখ বাসিন্দা। এলাকাবাসী শহরের রাস্তাঘাটের এই দৈন্যদশার জন্য শাসকদলের অবহেলা আর জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন।লন্ডনপ্রবাসী বগুড়ার মনির হাসান দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেছেন। গত মঙ্গলবার সকালে রিকশায় চড়ে শৈশবের স্মৃতিঘেরা শহরের অলিগলি ঘুরে আধুনিক বহুতল ভবন দেখে যতটা না বিস্মিত হয়েছেন; শহরের ক্ষতবিক্ষত, ভাঙাচোরা ও বিপর্যস্ত রাস্তাঘাট দেখে তার চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘১০ বছর আগে বগুড়া শহরের রাস্তাঘাটের এমন বেহাল দশা ছিল না, ছিল চকচকে। তখন বেহাল ছিল শহরের দালানকোঠা। এখন চিত্রটা উল্টো। দালানকোঠা চকচকে। কিন্তু বেহাল শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট।’বগুড়া পৌরসভার প্রকৌশল শাখা সূত্র জানায়, পৌরসভায় ৩০টি প্রধান সড়কসহ পাড়া-মহল্লায় আরও ৭০টির মতো রাস্তা রয়েছে। ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গ কিলোমিটার এই পৌরসভায় ২৬৬ কিলোমিটার সড়ক পিচ ঢালাই, ১৩০ কিলোমিটার সিসি ও আরসিসি এবং ১৬২ কিলোমিটার ইট বিছানো সড়ক রয়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ সাতমাথা-ফুলতলা পর্যন্ত গোহাইল সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। নুরানী মোড়-নিশিন্দারা সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ কাদাজলে একাকার। সড়কের ইট, বালু, ঢালাই, বিটুমিন উঠে গেছে। বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।এ ছাড়া থানা মোড়-চেলোপাড়া, কালীতলা-করোনেশন স্কুল সড়ক, ধরমপুর-মাটিডালি, এলজিইডি-ফকির উদ্দিন স্কুল, সাতানীবাড়ি-আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ-জ্বলেশ্বরীতলা, সাতানীবাড়ি-আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ-সাতমাথা, মফিজ পাগলার মোড়-জোব্বার ক্লাব, ডিসি বাংলো-বকশিবাজার, চক সূত্রাপুর-শের এ বাংলা হল সড়ক, কামারগাড়ি-নূরানী মোড়, নূরানী মোড়-উপশহর সড়ক, নামাজগড়-বাদুরতলা, পার্ক রোড-কারমাইকেল সড়ক, ঈদগাহ মাঠ-কারমাইকেল সড়কের অবস্থাও বেহাল।নূরানী মোড়-নিশিন্দারা সড়কের নিশিন্দারার চাকরিজীবী আবদুস সামাদ বলেন, এই সড়কে এখন রিকশা নিয়েও চলাচল করা যায় না।সাতমাথা-ফুলতলা সড়কের স্থানীয় আট-নয়জন বাসিন্দা ও অটোরিকশাচালক বলেন, মাস দুয়েক আগে সাতমাথা-ফুলতলা সড়কটি সংস্কারের নামে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। একপর্যায়ে ইট-পিচ ঢালাই তুলে কিছু দূর খোয়া বিছানোর পর এখন কাজই বন্ধ।বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, সাতমাথা-ফুলতলা পর্যন্ত গোহাইল সড়কটি জেলা পরিষদের হলেও এখন তা পৌরসভাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শহর উন্নয়ন তহবিল (বিএমডিএফ) থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজী এরফানুর রহমান কাজটি পেয়েছে।অবশ্য বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমানের দাবি, ‘এ সড়কটি সংস্কারে বিএমডিএফকে অর্থসহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক। বর্ষায় পিচ ঢালাইয়ের কাজ করলে মান ঠিক থাকবে না বলে বিশ্বব্যাংক সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সংস্কারকাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দিয়েছে। এ কারণে ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘শহরের বেশ কিছু সড়কের অবস্থা খুব খারাপ হলেও অর্থাভাবে এসব সড়ক সংস্কার করা যাচ্ছে না। এই পৌরসভা সরকারের উন্নয়ন-বঞ্চনার শিকার সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। রাজনৈতিক কারণেই এখন বগুড়া শহর উন্নয়নে সরকারি অর্থ বরাদ্দ মেলে না। তাই পৌরসভার ভরসা এখন বিএমডিএফ আর নিজস্ব তহবিল।’
161,566
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৮:২৯
২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩২
রাজধানী (জাতীয়),দুর্ঘটনা
0
ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1305666
রাজধানীর মুগদার মান্ডা এলাকায় একটি ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগেছে। এতে ওই দোকানের মালিকসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।দগ্ধ তিনজন হলেন দোকানের মালিক মো. আলম (৩৩), কর্মচারী আনোয়ার হোসেন (২২) ও মমিন (২০)। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।আজ সোমবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে মান্ডা এলাকার আফরোজা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ভাঙারি দোকান এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সেন্টের শিশিসহ বিভিন্ন মালামাল হাইড্রলিক মেশিনের মাধ্যমে চ্যাপ্টা করার কাজ করছিলাম। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে দোকানে আগুন লেগে যায়। মেশিনের সঙ্গে থাকা তেলের পাইপে লিকেজ থাকায় হয়তো এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান বলেন, দগ্ধ তিনজনের কাউকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তাঁদের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলমের ৫৭ শতাংশ, আনোয়ারের ৩০ শতাংশ ও মমিনের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এঁদের মধ্যে আলম ও আনোয়ারের অবস্থা গুরুতর।
335,374
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:২২
০৯ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:৩০
রাজনীতি
null
নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণে ব্যস্ত: রিজভী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/735565
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকার রাহাজানি, তাণ্ডব আর লুটপাট করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আর সরকারের আনন্দের ঢাক-ঢোল পেটাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণে ব্যস্ত।রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আজ শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় জেনেও শুধু গণতন্ত্রের সামান্যতম পরিসরে প্রবেশ করতে পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণবিচ্ছিন্ন। এই সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বিচ্ছিন্ন করেছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা ২০-দলীয় জোটকেও ভাঙার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।৩০ ডিসেম্বর স্থগিত হওয়া পৌরসভাগুলোর নির্বাচন ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি উল্লেখ করে রিজভী অভিযোগ করেন, ওই পৌরসভাগুলোতে বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের ভাইকে বিজয়ী করতে নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাঁকে গণসংযোগ করতেও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে। ফলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই। সেখানে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করতে যা যা করার দরকার, তা-ই করছে সরকার। অথচ সেখানে বিএনপির প্রার্থীই এগিয়ে আছেন।বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করেন, নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভায়ও সরকার ভোট ডাকাতির চেষ্টা করছে। সেখানেও তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।সংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে তাদের চাকরির মেয়াদ শুধু দীর্ঘায়িত করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির নেতা রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেসব সন্ত্রাস চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোতেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, কাজী হেনা, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
190,673
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৬
১০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৬
বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
মাছচাষির হাত-পা ভেঙে দিলেন ইউপি সদস্য?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1056299
ঢাকার ধামরাইয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাছচাষির হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ওই মাছচাষির নাম ওয়াসিম (৩৫)। তিনি ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের সাচনা গ্রামের বরকত মিয়ার ছেলে। ওয়াসিমকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কৃত্রিমভাবে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।ওয়াসিমের ভাই হাসেম মিয়া বলেন, ওয়াসিম এলাকার ছোট পুকুর, ডোবা ও জলাশয় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেন। ১৫ দিন আগে কুল্লা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাবুল হোসেন ওয়াসিমের কাছে মাছ চেয়েছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর বাবুলকে কিছু মাছ পৌঁছে দেন ওয়াসিম। কিন্তু পরিমাণে কম হওয়ায় বাবুল তা ফেরত দেন। এ নিয়ে ওয়াসিমের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে বাবুল তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। গত বুধবার এলাকার একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন ওয়াসিম। ওই দিন রাত আটটার দিকে বাবুল লোকজন নিয়ে ওয়াসিমের ওপর হামলা চালান। তাঁরা হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে ওয়াসিমের দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেন। এ ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে মৃত ভেবে তাঁরা চলে যান। ঘটনার পরের দিন ওয়াসিমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ধামরাই থানায় মামলা করেন। মামলায় বাবুলসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।গতকাল এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আইসিইউতে ওয়াসিম অচেতন অবস্থায় আছেন। তাঁর দুই হাত ও দুই পায়ে ব্যান্ডেজ।জানতে চাইলে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ইয়াসমিন খানম বলেন, প্রচণ্ড আঘাতে ওয়াসিমের হাত-পা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। পেটের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়ে জমে ছিল। কৃত্রিমভাবে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।ঘটনার পর থেকে বাবুল হোসেন পলাতক থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।ধামরাই থানার ওসি রিজাউল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার উদ্দেশ্যেই ওয়াসিমের ওপর হামলা চালিয়েছেন বাবুল।
281,965
নোয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৭
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:১০
অপরাধ
0
রান্নাঘরে গলাকাটা লাশ, পুত্রবধূ পুলিশ হেফাজতে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1324541
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারীর পুত্রবধূ আঁখি আক্তারকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বসতঘরের এক পাশে রান্নাঘরে নূর জাহান নামের (৬৫) ওই নারীর গলাকাটা লাশটি পাওয়া গেছে। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে।পুলিশ সূত্র জানায়, নূর জাহান সেনবাগের কাবিলপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের ছিদ্দিক উল্যাহর স্ত্রী। সাত-আট বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। দুই ছেলে ও এক মেয়ের সংসার। ছেলে দুজন ওমানপ্রবাসী। একমাত্র মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলে মো. টিপু তিন দিন আগে বিদেশে গেছেন। ভাবিও তাঁকে বিদায় জানাতে চট্টগ্রাম যান এবং সেখানে বাপের বাসায় থেকে যান।নিহত নূর জাহানের দেবর আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর ভাবি রাতে পাশের বাড়ির আট বছর বয়সী রিয়াকে নিয়ে নিজেদের আধাপাকা ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ভোর আনুমানিক পাঁচটার দিকে ওই মেয়ের চিৎকারে তাঁরা এগিয়ে এসে দেখেন বসতঘর-সংলগ্ন রান্নাঘরের মেঝেতে ভাবির গলাকাটা লাশ পড়ে আছে।আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর ভাবিদের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। তিনি খুবই শান্ত স্বভাবের এবং ধার্মিক ছিলেন। তাঁরা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাঁরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। পুলিশের তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছেন তাঁরা।সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বেলা একটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মৃতদেহের পাশে থেকে একটি বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পিবিআইর সদস্যরা আরও কিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন।ওসি হারুন-অর-রশিদ জানান, শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পেয়ে চট্টগ্রামে অবস্থানকারী বড় ছেলের বউ আঁখি আক্তার ও মেয়ে ফাতেমা বেগম বাড়িতে পৌঁছেছেন। পুত্রবধূ আঁখিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েকে বাদী করে থানায় একটি হত্যা মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
338,313