author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
শাহাদুজ্জামান | entertainment | বিনোদন | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:১০ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:১০ | আনন্দ,চলচ্চিত্র | 0 | শুনতে কি পাও: টুকরো ভাবনা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/151150 | মনে খানিকটা কুয়াশা নিয়ে কামার আহমদ সাইমন পরিচালিত ও সারা আফরিন প্রযোজিত চলচ্চিত্র শুনতে কি পাও দেখতে বসি। ইউরোপের একটি উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের পতাকা নিয়ে ছবিটি হাজির। আনন্দের কথা। কিন্তু জানি, ছবিটির বিষয়বস্তু দেশের একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ঘিরে। এ-ও জানি, বাংলাদেশের দারিদ্র্য আর দুর্যোগ পশ্চিমাদের খুব পছন্দের বিষয়। ফলে, ঠিক কোন বাংলাদেশের কথা শুনিয়ে কামার পশ্চিমাদের স্বীকৃতি এনেছেন, সেই সন্দেহের কুয়াশা জেগে থাকে মনে। পশ্চিমারা সব সময় সঠিক কারণে যে আমাদের প্রশংসা বা নিন্দা করে, তা তো নয়। ছবিটি শুরু হলে টের পাই, মনের কুয়াশা একটু একটু করে কাটছে।২০০৯ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে বিধ্বস্ত একটি গ্রাম ও তার বাসিন্দা একটি পরিবারের জীবনযাপনের ঘটনা নিয়েই শুনতে কি পাও। ঝুঁকি থাকে দুর্যোগপীড়িত জনপদকে নিয়ে তৈরি ছবি দুর্গত মানুষের অসহায়ত্ব ও দুর্দশার একটি সেন্টিমেন্টাল ক্লিশে বয়ান হয়ে উঠতে পারে, হতে পারে নেহাতই শুষ্ক এক প্রতিবেদন। কামার এই ঝুঁকি এড়িয়েছেন। উপস্থাপনায়, বিষয়-ভাবনায় চিন্তাকে উসকে দেওয়ার নমুনা রেখেছেন ছবিটির নানা স্তরে। ডকুমেন্টারি ও ফিচার ফিল্মের নানা উপাদানের আন্তপ্রজননের চেষ্টা মনোযোগ কাড়ে।লক্ষ করি, উপদ্রুত উপকূলের মানুষের মানবেতর জীবনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শকের করুণা ও দীর্ঘশ্বাস উদ্রেকের কোনো চেষ্টা এ ছবিতে নেই, বরং আছে দুর্যোগবিধ্বস্ত জনপদ বিষয়ে একটি বিকল্প বয়ান তৈরির উদ্যোগ। পরিচালক জোর দিয়েছেন অসীম পরাক্রমশালী প্রকৃতির পাশে ক্ষুদ্র মানুষের সীমাহীন শক্তির ওপর। যেন গ্রিক পুরাণের আদিম মানুষ এক নাজুক প্রাণী হিসেবে রুদ্র প্রকৃতির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, যার প্রকাণ্ড থাবা নেই, বিশাল দাঁত নেই, তীক্ষ নখ নেই, ওড়ার পাখা নেই। দুর্বল সেই প্রাণী প্রমিথিউসের চুরি করা আগুন দিয়ে ক্রমেই বশ করে ক্ষমতাধর এই প্রকৃতিকে এবং নিজেই তৈরি করে এক দ্বিতীয় প্রকৃতি। আইলাবিধ্বস্ত ছবির মানুষগুলো যেন প্রমিথিউসের আগুন লাগা একেকজন আদিম মানুষ। সর্বস্ব হারিয়ে যৌথ উদ্যোগে তারা তৈরি করছে তাদের দ্বিতীয় প্রকৃতি। দলবেঁধে ঘুরিয়ে দিচ্ছে নদীর গতিপথ, নিচ্ছে খাবার, বাসস্থান ও আশ্রয়ের মতো একেবারে আদিম চাহিদাগুলো পূরণের উদ্যোগ। সুলতানের ছবির কথা মনে পড়ে আমাদের। জীবনের শেষ সম্বল হারানো এই জনপদের মেয়েরা অতীত প্রেমের স্মৃতি নিয়ে আড্ডা দেয়, নতুন শাড়ি পরে; পুরুষেরা গান শোনে, আয়োজন করে খেলার প্রতিযোগিতা। এটি ঠিক হেমিংওয়ের বুড়োর একা হাঙরের সঙ্গে লড়াইয়ের গল্প নয়। এ গল্প প্রকৃতি নামে হাঙরের সঙ্গে যৌথ মানুষের লড়াইয়ের।সমান্তরালে শুনি এক দম্পতির ব্যক্তিগত গল্পও, যাদের সদ্য গড়ে তোলা সংসার লন্ডভন্ড হয়ে গেছে আইলার আঘাতে। সেই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পৌরাণিক পাখির মতো ফুঁড়ে উঠতে দেখি রাখী নামের মেয়েটিকে। এই বিষম বাস্তবতায় ন্যূনতম উপকরণ দিয়েই রাখী চমৎকার বজায় রাখে তার গৃহিণীপনা, সন্তানকে ভরিয়ে রাখে মায়ায়, স্বামীকে দেখায় নতুন দিনের স্বপ্ন। নিজের সংসার ছাপিয়ে দায়িত্ব নেয় বিধ্বস্ত জনপদের শিশুদের শিক্ষারও। এ ছবির আরেকটি ব্যতিক্রমী মাত্রা শিশুর চোখ দিয়ে দুর্যোগকে দেখার চেষ্টা। এমন দুর্গত পরিস্থিতিতে শিশুরা কী করে উদ্যাপন করে তাদের শৈশব, ছবিটি তার খোঁজ দেয় আমাদের।বিধ্বস্ত সেই গ্রামে ‘হতদরিদ্র’ মানুষকে ত্রাণ দিতে উপস্থিত হয় রাষ্ট্রও। কিন্তু প্রকৃতির প্রলয়ে সবাই যখন একাকার, তখন কে হতদরিদ্র আর কে নয়—হারিকেনের আলো-আঁধারিতে চা-খানায় বসে গ্রামের মানুষ এই ধাঁধার জন্ম দেয়। আমরা দেখি, এই চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দাঁড়িয়েও ভাঙা স্কুলঘরে শিশুরা উচ্চ স্বরে পাঠ নেয় রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের দায়িত্ব, তারা দেশপ্রেমের গান গায়। একটা চাপা বেদনা ও কৌতুক মিশে থাকে এসব দৃশ্যে।এস্টাবলিশিং শটে উলুধ্বনিসহ দূর থেকে সন্ধ্যার গ্রাম যেভাবে পর্দায় ভেসে ওঠে, তাতে শুরুতেই দর্শককে গেঁথে ফেলার শক্তি আছে ছবিটির। এই লং শট থেকে মুহূর্তে আমরা চলে যাই ক্লোজ শটে রাখী আর তার সন্তানের মশারির ভেতর। এভাবে বৃহৎ ইমেজ থেকে ক্ষুদ্র ইমেজ, সেখান থেকে আবার বৃহৎ ইমেজে চলাচল করে ছবিটি। দূর চরাচর, নদীর ছোট স্রোত ক্রমেই বড় স্রোতে পর্যবসিত হওয়া ইত্যাদি টুকরো টুকরো ইমেজে প্রকৃতি একটি চরিত্র হিসেবে উপস্থিত এই ছবিতে। প্রকৃতিকে ক্যামেরা একবার কাছ থেকে দেখায়, একবার দূর থেকে; একইভাবে দেখায় মানুষকেও। মানুষ আর প্রকৃতি, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চরিত্র যেন। সম্পাদনার মুনশিয়ানায় এ দুইয়ের ভেতর একটা চাপা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়, তৈরি হয় নাটকীয়তা।ছবির শেষে মনের কোণে কিঞ্চিৎ কুয়াশা অবশ্য ঝুলে থাকে। সহসা মনে হয়, ঘুরে দাঁড়ানো লড়াকু দুর্গত মানুষের স্বর শোনাতে গিয়ে এই আইলাবিধ্বস্ত চরাচরে যে গভীর আর্তনাদ আর গোমড়ানো কান্নার স্বর আছে, সেগুলোকে সযত্নে নীরবতার আড়ালে রেখে দেওয়া হয়েছে যেন। এ প্রশ্ন জাগে আরও এই কারণে যে কাহিনির কেন্দ্রে যে নারীকে আমরা দেখি, সে শিক্ষিত, মোটামুটি সচ্ছল হিন্দুধর্মাবলম্বী একজন। কামার তাঁর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, স্পটে গিয়ে অগণিত নারীর ভিড়ে ঘোমটাবিহীন ঋজু এই নারী তাঁর চোখে পড়ে। সেই সুত্রে তাকে প্রধান চরিত্রে নির্বাচন করেন তিনি। রাখীর বিপরীতে গ্রামটির একেবারেই অশিক্ষিত, অতিদরিদ্র, ঘোমটাপড়া রক্ষণশীল আবহে বেড়ে ওঠা কোনো মুসলিম নারীর আইলা অভিজ্ঞতা ও স্বর ভিন্ন হবে বলে ধারণা করা যায়। রাখীর ঋজুতা ও স্বচ্ছন্দ চলাচলের পেছনে তার শিক্ষা, তুলনামূলক সচ্ছলতা, পর্দার বাধামুক্ত ধর্মাচরণ ইত্যাদিও বিবেচনার দাবি করে। পর্দায় রাখীর গল্প তুলে আনলেও পর্দার আড়ালে সমান্তরাল বহু পর্যুদস্ত নারীর গল্পও প্রচ্ছন্ন আছে ছবিটিতে, এমন একটা ইঙ্গিত পাওয়া গেলে স্বস্তি হতো।কামার ও সারা দম্পতির আছে মেধা, তারুণ্য ও চলচ্চিত্রের প্রতি গভীর ভালোবাসা, যার স্বাক্ষর তাঁরা রেখেছেন তাঁদের প্রথম ছবি স্টোরিজ অব চেঞ্জ ও দ্বিতীয় ছবি শুনতে কি পাও-এ। আন্তর্জাতিক পুরস্কার ইত্যাদি তাঁদের আত্মতৃপ্ত না করে তুললে তাঁদের কাছ থেকে আমরা ভবিষ্যতে আরও চমৎকার ছবি পাব বলে বিশ্বাস করি। | 52,887 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৪ জুলাই ২০১৬, ০১:৩৬ | ২৪ জুলাই ২০১৬, ০৩:৫৮ | বিনোদন,বাংলা গান | 0 | প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন শারমীন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/923509 | আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গান–এর (পাওয়ার্ড বাই ইউনিভার্সাল ফুড) প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠল ময়মনসিংহের শারমীনের মাথায়। রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল এই নিয়ে জমকালো আয়োজন। দর্শকদের এসএমএস ভোট আর বিচারকদের রায়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট জয় করেন এই শিল্পী। পুরস্কার হিসেবে ঝলমলে মুকুটের পাশাপাশি তিনি পান পুরস্কারের অর্থমূল্য ১০ লাখ টাকার চেক। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ ফরিদপুরের মো. খায়রুল ইসলাম পান ৫ লাখ টাকার চেক। দ্বিতীয় রানারআপ (যৌথভাবে) চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইয়াসমিন অংকন ও রাজশাহীর আল-আমিন আলী পান ৩ লাখ টাকার চেক। সারা দেশ থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৬০ হাজার প্রতিযোগী।ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেডের সৌজন্যে ‘স্বর্ণালি কণ্ঠ’র জন্য ১ লাখ টাকার চেক পেয়েছেন চট্টগ্রামের ইলমা বিনতে বখতেয়ার। ‘আলোকিত শিল্পী’ ও ‘উজ্জ্বল তারকা’র ১ লাখ টাকার চেক পেয়েছেন যথাক্রমে ফরিদপুরের মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. নাজমুল হাসান।চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ পুরস্কারের অর্থমূল্য ছাড়াও পেয়েছেন ইমপ্রেস এভিয়েশনের সৌজন্যে হেলিকপ্টার ভ্রমণের সুযোগ, ইমপ্রেস অডিও ভিশন থেকে সিডি ও ডিভিডি প্রকাশ, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ ইত্যাদি। হেলিকপ্টার ভ্রমণের সুযোগের পুরস্কারটি তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক জহিরউদ্দিন মাহমুদ। বিজয়ী ব্যক্তিদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ এবং পরিচালক মুকিত মজুমদার, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড এন্টারপ্রাইজেসের পরিচালক তৌফিকুর রহমান, ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানী হোসাইন, প্রতিযোগিতার প্রধান দুই বিচারক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও আইয়ুব বাচ্চু, সংগীতশিল্পী সাংসদ মমতাজ ও রুনা লায়লা। এ সময় বিচারকদের সঙ্গে গাওয়া সেরা-৭-এর একটি সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এটি প্রকাশ করেছে ইমপ্রেস অডিও ভিশন। স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, কর্মময় নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা সত্ত্বেও এখানে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে অনুষ্ঠানটি কত জনপ্রিয়। এ সময় তিনি ব্র্যাকের কার্যক্রমের কিছু অংশ তুলে ধরেন। তিনি আশা করেন, আড়ং ডেইরি ও চ্যানেল আইয়ের এ উদ্যোগ গ্রামীণ লোকসংগীতের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।এরপর প্রতিযোগিতার প্রধান দুই বিচারক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও আইয়ুব বাচ্চু মঞ্চে আসেন। বন্যার গাওয়া ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা’ গানের সঙ্গে ২০ নারী শিল্পী প্রদীপ নিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করেন। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে অসম্ভব সম্মানিত হয়েছি।’ আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি’ গানের সঙ্গে ৩০ জন নৃত্যশিল্পী মঞ্চে আসেন। আইয়ুব বাচ্চু বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতায় এসে আমি অনেক কিছু শিখেছি।’বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেছেন ইজাজ খান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সিজিল মির্জা। | 242,888 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জুলাই ২০১৭, ১৭:১৫ | ১৯ জুলাই ২০১৭, ২১:৪০ | পরিবেশ | null | রাস্তায় পশু কোরবানি করা যাবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1257726 | স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় রাস্তায় পশু কোরবানি করা যাবে না। তবে বাড়ির আঙিনায় সুব্যবস্থা থাকলে সেখানে করা যাবে। আজ বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু জবাই করা এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। এবার সরকার সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা ছাড়াও জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন আজকের সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা। সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ বিভিন্ন সিটির মেয়র, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সবাই নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির জন্য সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। ২০১৪ সাল থেকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের নিয়ম চালু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই এটি ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আজকের সভায় একাধিক মেয়র ও কর্মকর্তা বলেন, এবার নির্ধারিত স্থানে কোরবানির সংখ্যা বাড়বে। আগামী বছর আরও বাড়বে। একপর্যায়ে হয়তো সেটি হবে। তাঁরা এ জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। সভায় জানানো হয়, এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৫৫টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় ৫৪৯টি স্থান কোরবানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য হিসাব অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২ লাখ ৭৫ হাজার এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২ লাখ ২১ হাজার পশু কোরবানি হতে পারে। দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে এবার মোট ২৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসছে। উপস্থিত মেয়ররা কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে প্রস্তুতির কথা জানান। | 327,213 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুন ২০১৭, ১৩:৫১ | ২৮ জুন ২০১৭, ১৩:৫৩ | আইন ও বিচার | null | হলি আর্টিজানে হামলায় নির্ভুল অভিযোগপত্র দেব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1231696 | গুলশানের অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার অভিযোগপত্র খুব শিগগির দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার এক বছর হতে যাচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেই দিনটি আমাদের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। আমরা বুঝতে শিখেছিলাম, এই জঙ্গিরা কী চায়, কী তাদের উদ্দেশ্য, কারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা, কারা অর্থায়ন করেছে। সবই খুব সূক্ষ্মভাবে দেখেছি। সেই জন্য অভিযোগপত্র দিতে একটু সময় নিয়েছি।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখানে নির্ভুল অভিযোগপত্র দেব। কোনো ত্রুটি ছাড়া অভিযোগপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং খুব শিগগির অভিযোগপত্র দিতে পারব।’গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে গত বছরের ১ জুলাই। জঙ্গিরা ওই রাতে ২০ জনকে হত্যা করে, যাঁদের নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশি এবং একজন ভারতীয় নাগরিক। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।পরে কমান্ডো অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত হয়। | 323,134 |
নীলফামারী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৩৪ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৩৫ | নীলফামারী,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/319783 | নীলফামারী সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবেত আলী। এর আগে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় যোগ দেয়।ইউএনও সাবেত আলী জানান, এবার সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে (বালক) ১৬টি বিদ্যালয় ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে (বালিকা) ১৬টি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী দিনে বালকদের আটটি দলের চারটি এবং বালিকাদের আটটি দলের চারটিসহ মোট আটটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হবে। | 93,523 |
-1 | sports | খেলা | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪৭ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৫৩ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,খেলা | 0 | ব্যাটিং আধিপত্য | http://www.prothom-alo.com/sports/article/723186 | হোবার্টে প্রথম টেস্টে একমাত্র ইনিংসে ৪ উইকেটে ৫৮৩। এবার মেলবোর্নে প্রথম দিনে ৩ উইকেটে ৩৪৫। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলাই করছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলীয়রা হুমকি দিচ্ছে যেকোনো টেস্ট সিরিজে ব্যাটিং গড়ের রেকর্ড ভাঙার। কাল পর্যন্ত চলতি সিরিজে অস্ট্রেলিয়া উইকেটপ্রতি ১৩২.৫৭ রান তুলেছে। সিরিজটা এখানেই থেমে গেলে রেকর্ড হতো এটাই। সিরিজে কমপক্ষে ২০০ ওভার ব্যাট করেছে এই মানদণ্ড ধরলে বর্তমান রেকর্ডটা পাকিস্তানের। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ইনিংসে ১২৫.০০ গড়ে ৮৭৫ রান করে পাকিস্তান। নিজ দেশে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে পাকিস্তান উইকেট হারায় মাত্র ৭টি। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৮.৪৫ গড়ে রান তুলে এরপরই আছে অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্টের তিন ইনিংসে ১১ উইকেট হারিয়ে ১৩০৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। | 186,870 |
গাজী ফিরোজ, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:০০ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:০০ | চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | হরতাল-অবরোধে কমে গেছে সম্পত্তি কেনাবেচা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/115011 | চট্টগ্রামে হরতাল-অবরোধে কমে গেছে জমিসহ সম্পত্তির কেনাবেচা। ফলে এ খাত থেকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। অলস সময় পার করছেন রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।কেনাবেচা কমে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দলিল লেখকেরাও। টাকাসহ নানা প্রয়োজনে জমি বিক্রি করতে চাইলেও হস্তান্তর করতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগর ও জেলার শত শত মানুষ।চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার মুশতাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে জমি কেনাবেচা কমে গেছে। বেচাকেনা কম হওয়ায় সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে তুলনামূলক কম জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের আদালত ভবনের মূল ফটকে জেলা রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা নেই। কাজের চাপ না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পার করছেন অলস সময়।জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জিয়াউদ্দিন আহমেদ রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগরের খুলশী এলাকার একটি জমি বিক্রির দলিল তৈরি করে রাখলেও দুই মাসেও তা সম্পাদন হয়নি হরতাল-অবরোধের কারণে। কারণ, জমিটির অংশীদার একেকজন একেক জায়গায় বসবাস করেন। কেউ ঢাকায়, কেউ রাজশাহী, কেউ কুমিল্লায়। হরতাল-অবরোধের কারণে সব অংশীদার আসতে পারছেন না। অপরদিকে জমির ক্রেতা হলেন প্রবাসী। তিনি দলিল রেজিস্ট্রি করে বিদেশে চলে যেতে চাইলেও পারছেন না। কবে রেজিস্ট্রি করতে পারি জানি না।’নগরের হামজারবাগ এলাকার কামাল উদ্দিন মায়ের চিকিৎসা করাতে তাঁদের একটি জায়গা থেকে পাঁচ শতক বিক্রির জন্য বায়না করেছেন। কিন্তু তাঁর বোনেরা হরতাল-অবরোধের কারণে রেজিস্ট্রি অফিসে আসতে না পারায় তা হচ্ছে না।জেলা রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে নগর ও জেলার ২১টি রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে এক হাজার ৬৬টি দলিল সম্পাদিত হলেও গত তিন মাসে তার সংখ্যা কমে এসেছে। অক্টোবর মাসে সাত হাজার ৬০টি, নভেম্বর মাসে সাত হাজার ২৫২ এবং ডিসেম্বর মাসে প্রায় সাড়ে ছয় হাজারের মতো। সেপ্টেম্বর মাসে এ দলিল রেজিস্ট্রি, রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের অনুলিপি ফি, তল্লাশি ও পরিদর্শন ফি, দলিলে ব্যবহূত স্ট্যাম্প ফি বাবদ ৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৩০ টাকা আদায় হলেও গত নভেম্বর মাসে তা নেমে আসে ৪০ কোটিতে।সদর সাব-রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতারা আসতে না পারায় গত তিন মাসে রেজিস্ট্রি কমে গেছে।এদিকে জমি কেনাবেচার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, দলিল লেখক, সার্ভেয়ার ও কেনাবেচার মধ্যস্থতাকারী দালালেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নগরের মুরাদপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফেরার পর জমি কেনাবেচার মধ্যস্থতা (দালালি) করে সংসার চালান।রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মানুষ জমি কেনাবেচা করতে পারছেন না। নিরাপত্তার কারণে রেজিস্ট্রি করতে আসা-যাওয়া ও টাকা লেনদেন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ফলে কেনাবেচা বন্ধ থাকায় আমার মতো দালালদের অবস্থাও খারাপ। এটি স্থায়ী হলে না খেয়ে থাকতে হবে পরিবার-পরিজন নিয়ে।’ | 41,074 |
নেয়ামতউল্যাহ, ভোলা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৫ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৬ | ভোলা,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বছরে ১৪৪ একর জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1092496 | ভোলায় প্রায় ৩৫০ একর কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে ৮৫টি ইটভাটা; দিনে দিনে বাড়ছে পরিধি। এসব ভাটায় প্রতিবছর প্রায় ১৪৪ একর কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আবাদি জমির মাটি দিয়ে ভাটার চাহিদা মেটানো হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে ফসলের উৎপাদন। ইটভাটায় জমির উর্বর অংশের মাটির ব্যবহার বন্ধ করা না হলে এ অঞ্চলে কৃষি বিপর্যয় ঘটতে পারে। ভাটা নির্মাণে কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র দরকার হলেও ভোলায় কেউ ছাড়পত্র নেয়নি।ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩-এ উল্লেখ আছে, ইটভাটায় ফসলি জমির ওপরের মাটি ব্যবহার করলে প্রথমবারের জন্য ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের শাস্তি ২ থেকে ১০ বছরের জেল এবং ২ থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা। একই আইনে ফসলি জমি, জনবসতিপূর্ণ এলাকা, সংরক্ষিত এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, বনভূমি, জলাভূমি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ভোলায় ৮৫টি ইটভাটা রয়েছে। একেকটি ইটভাটার দখলে রয়েছে ২ একর থেকে ১২ একর জমি। ৮৫টি ভাটায় স্থায়ী জমি রয়েছে ৩৫০ একর। প্রতিবছরই ভাটাগুলো আশপাশের জমি কিনে তাদের পরিধি বাড়াচ্ছে।গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরেজমিনে অন্তত ২০টি ইটভাটায় গিয়েছেন এ প্রতিবেদক। এ সময় দেখা যায়, সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশায় পাঙাশিয়ার ফাইভ স্টার ব্রিকস, তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের সাঈদ ব্রিকস, শম্ভুপুরের সাকিব ব্রিকস, তুলি ব্রিকস, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদের সোনালী ব্রিকস, ফরাজগঞ্জের নবনী ব্রিকস এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার ওএম ব্রিকস ঘিরে রয়েছে ফসলি জমি। ভাটার জমিতেও আগে চাষাবাদ হতো বলে জানান স্থানীয় ব্যক্তিরা। একইভাবে চরফ্যাশন উপজেলার চর মানিকা সংরক্ষিত বনের পাশে কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে আকন ও রাত্রি ব্রিকস। এসব ভাটার আশপাশে রয়েছে জনবসতিপূর্ণ এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভোলা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ১ লাখ ৯২ হাজার ৬৮২ হেক্টর। এক ফসলি জমির পরিমাণ ৫৪ হাজার ২২ হেক্টর।পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, কেবল একফসলি জমিই ইটভাটার জন্য উপযুক্ত। আর নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ভাটার আওতায় একফসলি দুই একরের বেশি জমি রাখা যাবে না।প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে ১৪৪ একর জমি৩০ জন মাটি বিক্রেতা ও ইট বানানোর কারিগরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোলার মাটি বেশির ভাগ বেলে ও দোআঁশ। ভোলায় এক মৌসুমে একটি ভাটায় ইট বানানো হয় গড়ে ৭০ লাখ। সে হিসাবে ৮৫টি ভাটায় ৫৭ কোটি ৪০ লাখ ইট উৎপাদন হচ্ছে। এই পরিমাণ ইট বানাতে প্রতিবছর ১৪৩ দশমিক ৫ একর জমি নষ্ট হচ্ছে।অনুমোদন আছে ২৪টিরপরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, ভোলার ৮৫টি ইটভাটার মধ্যে ৫১টি আধুনিক প্রযুক্তির (জিগজ্যাগ)। তবে বর্তমানে মাত্র ২৪টি ভাটার অনুমোদন আছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ইটভাটায় প্রায়ই অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেক ইটভাটা ভেঙেও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরে তারা আবার চুরি করে ইট উৎপাদন করে।জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, সভ্যতা ও উন্নয়নের জন্য ইট লাগবেই। বিকল্প ইট, পরিবেশসম্মত ইট তৈরির পথ দেখানো উচিত পরিবেশবাদীদের। মোদ্দাকথা হলো, ইট তৈরিতে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম মানতে হবে। | 298,016 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | education | শিক্ষা | ১২ আগস্ট ২০১৫, ২০:৩৬ | ১২ আগস্ট ২০১৫, ২০:৩৭ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জেনে রাখুন | 0 | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া ২৪ আগস্ট শুরু | http://www.prothom-alo.com/education/article/600724 | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৪ আগস্ট। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সভাকক্ষে সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৯ অক্টোবর খ-ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এ ছাড়া চ-ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান অংশের পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, গ-ইউনিটের ১৬ অক্টোবর, চ-ইউনিটের অঙ্কন অংশ ১৭ অক্টোবর, ক-ইউনিটের ৩০ অক্টোবর ও ঘ-ইউনিটের পরীক্ষা ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমাদ, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ, অনুষদগুলোর ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।আবেদনের যোগ্যতা:বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ক-ইউনিটের অধীনে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয়সহ পাওয়া জিপিএর যোগফল অন্তত ৮, খ-ইউনিটের ৭, গ-ইউনিটের ৭ দশমিক ৫ থাকতে হবে। ঘ-ইউনিটের জন্য মানবিক বিভাগ থেকে ৭, বিজ্ঞান থেকে ৮, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ৭ দশমিক ৫ জিপিএ থাকতে হবে। তবে কোনো একটি বিষয়ে বি গ্রেড বা জিপিএ ৩ এর কম থাকলে আবেদন করা যাবে না। আর চ-ইউনিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএর যোগফল ৬ দশমিক ৫ আর একটি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩ জিপিএ থাকতে হবে। এ বছর ব্যাংক সার্ভিস চার্জ ও অনলাইন সার্ভিস ফিসহ ভর্তি পরীক্ষার ফি ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। | 159,304 |
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ নভেম্বর ২০১৭, ০৭:০০ | ০২ নভেম্বর ২০১৭, ০৭:০০ | আইন ও বিচার,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ | null | মতিন সরকার জামিনে মুক্ত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1356431 | বগুড়া শহর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার আলোচিত সেই খুনের মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল বুধবার বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মুহাম্মদ ইমদাদুল হক শুনানি শেষে আবদুল মতিনের জামিন মঞ্জুর করেন।মতিন সরকার বগুড়ায় আলোচিত ছাত্রী ধর্ষণ ও মাসহ ছাত্রীকে নির্যাতনের মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকারের বড় ভাই।বগুড়ার আবু নাছের ওরফে মুন্সি উজ্জ্বল হত্যা মামলার নথিতে নয় বছর ধরে ‘পলাতক’ থাকা আবদুল মতিন সরকার গত ২৭ সেপ্টেম্বর বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত ওই দিন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে মতিন সরকারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।আবদুল মতিন সরকারের পক্ষের আইনজীবী ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল মতিন সরকারের জামিনের আবেদন বিষয়ে ২৬ অক্টোবর আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। | 343,245 |
হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক, ঢাকা | entertainment | বিনোদন | ১২ মার্চ ২০১৯, ১১:০৯ | ১২ মার্চ ২০১৯, ১১:১১ | চলচ্চিত্র | 0 | সিনেমা কম, এফডিসির ক্যামেরা ব্যবহার হয় বিজ্ঞাপনে | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1583028 | কয়েক বছর ধরেই কমে গেছে চলচ্চিত্র নির্মাণ। সারা দেশে বন্ধ হয়েছে সিনেমা হলও। কিন্তু উল্টো দিকে বেড়েছে বিএফডিসির (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন) আধুনিক সব প্রযুক্তি। বিশেষ করে ডিজিটাল ক্যামেরা। অত্যাধুনিক আটটি ডিজিটাল ক্যামেরা আছে এখন এফডিসিতে। এর মধ্যে রেড ড্রাগন আছে দুটি, রেড স্কারলেট এবং সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরা পাঁচটি। তবে এসব ক্যামেরা এখন বেশির ভাগ সময়ই ব্যবহার হয় বিজ্ঞাপন বা টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণের কাজে। এর বড় কারণ, সিনেমার শুটিং কমে যাওয়া বলে উল্লেখ করেন অনেকে। এফডিসির কর্মকর্তারা জানান, বিজ্ঞাপনের জন্য আগেও ক্যামেরা ভাড়া হতো। কিন্তু সেটা তুলনামূলক কম। নিলেও অনেক আগে থেকে বুকিং দিতে হতো।এফডিসির অতিরিক্ত পরিচালক (বিক্রয়) শহীদুল আলম জানান, ক্যামেরা ভাড়া দেওয়ার বেলায় সবার আগে চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা কম হচ্ছে বলে বিজ্ঞাপন ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল এফডিসিতে ফ্লোর ভাড়া নিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণ করে। সামনে ঈদ আসছে। আশা করছি, ওই সময় ক্যামেরাগুলো নিয়মিত ভাড়া যাবে। কারণ এখন সিনেমার জন্য ক্যামেরা ভাড়া কমে গিয়েছে।’জানা গেছে, এফডিসির ক্যামেরা দুই শিফটে ভাড়া দেওয়া হয়। এফডিসির ভেতরে ব্যবহার হলে এক রকম ভাড়া, বাইরে নিয়ে গেলে আরেক রকম ভাড়া। এর মধ্যে রেড ড্রাগন ক্যামেরার ভাড়া ছয় হাজার ইনডোরে এবং সাড়ে ছয় হাজার আউটডোরে। একইভাবে রেড স্কারলেটের ভাড়া চার হাজার ও সাড়ে চার হাজার এবং সনি ক্যামেরার ভাড়া পাঁচ হাজার ও সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়ার বেলায় শতকরা ১৫ ভাগ বাড়ে। এফডিসি কর্তৃপক্ষ মূলত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা একটা শিফট এবং ৫টা থেকে রাত ১১টা আরেকটা শিফট হিসেবে ক্যামেরা ভাড়া দেয়।।ক্যামেরা ইউনিটের স্টোরকিপার আলমগীর হোসেন জানান, এখন বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রের জন্য সমানতালে ভাড়া যাচ্ছে ক্যামেরাগুলো। তিনি বলেন, ‘অনেক বিজ্ঞাপনের শুটিং এফডিসির ভেতরেই হয়। তাই অনেকে ক্যামেরা এখান থেকেই নেন। এ ছাড়া আমাদের ইউনিটের লোকবলও আছে। তাই অসুবিধা হয় না।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র মিলিয়েও সব কটি ক্যামেরা নিয়মিত ভাড়া যায় না। দিনে হয়তো তিন-চারটা। আর ক্যামেরার মান অনুযায়ী আমাদের ভাড়াও তুলনামূলক কম। এ কারণে অনেকেই আগ্রহী হয়ে ভাড়া নিতে আসেন।’তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা প্রকাশ করেন, সিনেমার সুদিন ফিরলে এফডিসির ক্যামেরা চলচ্চিত্রের জন্য ব্যবহার হবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছেন বেশির ভাগ কর্মী। | 393,553 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:১০ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:১১ | চট্টগ্রাম,মহানগর | 0 | ‘চিকিৎসায় মুগুর পা ভালো হয়’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1067971 | জন্মগতভাবে বাঁকা পায়ের পাতা বা মুগুর পা চিকিৎসায় ভালো হয়। শিশুর জন্মের পর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জন্মগত এই ত্রুটির চিকিৎসা করা হয়। সঠিক চিকিৎসা পেলে পরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায় শিশু।গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মুগুর পা (ক্লাব ফুট) নিরাময় প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান লায়ন মোখলেছুর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শামীম খান। গত সাত বছরে মুগুর পা চিকিৎসা বিষয়ে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১০ সাল থেকে লায়ন মোখলেছুর রহমান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় মুগুর পা নিয়ে জন্মানো শিশুদের চিকিৎসা করছে। বর্তমানে বিভাগের সাতটি জেলায় ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩ হাজার ৫৬৬ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জিরো ক্লাব ফুট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদুল হক, স্পেনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অ্যানা মারিয়া অ্যাই ব্যাটল, মার্থা ভিনিয়ালস রডরিকস, ইতালির ন্যাশনাল ক্লাব ফুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সিলভিয়া গিগনা, লায়ন মোখলেছুর রহমান ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কমর উদ্দিন আরমান। | 287,482 |
বরিশাল অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৪৯ | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫০ | বরিশাল বিভাগ,বরিশাল,অপরাধ | 0 | বরিশাল মেডিকেলে রাজনীতি বন্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/693601 | বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতের এ ঘটনার পর কলেজে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।ঘটনা তদন্তে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে গত রোববার শুরু হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেডিসিন ক্লাবের ১৮তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন সোমবার রাত নয়টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। ওই অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে তা পুরো কলেজে ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষ দুই ছাত্রাবাসে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে তিনটার পর অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতাদের প্রাধান্য দিয়ে গত ১৯ অক্টোবর কমিটি ঘোষণা করা হলে অপর পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর জের ধরে দুই পক্ষ একাধিকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে মহানগর ছাত্রলীগ ওই কমিটি স্থগিত করলেও দুই পক্ষের টানাপোড়েন চলছিলই। মেডিসিন ক্লাবের অনুষ্ঠান চলাকালে সেই বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতা অনুপ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, স্থগিত হওয়া কমিটির সভাপতি ইমরান হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান অরাজনৈতিক সংগঠন মেডিসিন ক্লাবের অনুষ্ঠানের মঞ্চে গিয়ে জোর করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।অপর পক্ষের নেতা ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মেডিসিন ক্লাবের অনুষ্ঠানে গেলে সেখানে অনুপ সরকারের নেতৃত্বে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ধাওয়া দেন।কলেজের অধ্যক্ষ ভাস্কর সাহা প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাময়িকভাবে রাজনীতি বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামায়াত হোসেন বলেন, মূলত কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এ নিয়েই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। | 177,600 |
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ আগস্ট ২০১৬, ০১:৫৩ | ২৪ আগস্ট ২০১৬, ০১:৫৪ | ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | নান্দাইলে দুই ছাত্র হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/955951 | স্কুলছাত্র তাসিন ও কলেজছাত্র মনোয়ার হোসেন হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবিতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার তারা এই কর্মসূচি পালন করে।বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে মুশুলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ফটকের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে তাসিন ও মনোয়ারের গ্রামের লোকজনসহ শিক্ষার্থী, এলাকার জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার মুশুলি ইউনিয়নের আগমুশুলি ও উত্তর রসুলপুর এবং তারঘাট এলাকার লোকজন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন মুশুলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া, মুশুলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক মো. মোমতাজ উদ্দিন, উপজেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সাধারণ সম্পাদক মো. আমরু মিয়া, মুশুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল হক, যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন প্রমুখ।বক্তারা তাসিন অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল মদদদাতার নাম উল্লেখ করে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। মুশুলি ইউনিয়নের বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন, হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার না করলে তাসিনের মায়ের আহাজারি শেষ হবে না। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৫ আগস্ট আগমুশুলি গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আবদুল কাইয়ুমের একমাত্র ছেলে তাসিনকে (৭) অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে তাসিনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে। ১৭ আগস্ট রাতে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের ওসি মো. ইমারত হোসেন গাজী বলেন, মূল অভিযুক্ত শহিদ মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উত্তর রসুলপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে কলেজছাত্র মনোয়ার হোসেন গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ অক্টোবর মারা যান। মনোয়ারের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার ১১ জন আসামির মধ্যে রইছ উদ্দিন ও রাজীব মিয়া কারাগারে আছেন। বাকিদের মধ্যে নয়জন জামিনে ও একজন পলাতক রয়েছেন। মনোয়ার হোসেন হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সালাহ উদ্দিন তালুকদার বলেন, মনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। | 252,871 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:১৯ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:২২ | বিশ্লেষণ | null | ঋণখেলাপিদের বিচারে ইশতেহারে অঙ্গীকার চাই | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1568936 | উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের সুযোগ নিয়ে ঋণখেলাপিদের অনেকে এবারও নির্বাচন করছেন। ব্যাংকের টাকা লুট করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তাঁদের হলফনামায় সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা যায়। এসব বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসুদ মিলাদ, চট্টগ্রাম।প্রথম আলো: এবার নির্বাচনে বড় ঋণখেলাপিদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?মইনুল ইসলাম: নির্বাচনের বহু আগে থেকেই রাঘববোয়াল ঋণখেলাপিরা তাঁদের খেলাপি ঋণগুলো নিয়মিত করে নিয়েছেন। বছরের পর বছর তাঁরা উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। আমরা দেখব যে বড় ঋণখেলাপিরাই কোনো না কোনো ব্যাংকের মালিক বা পরিচালক। তাঁরা অসীম প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের ঋণগুলো নিয়মিত করে নিয়েছেন। ফলে ঋণখেলাপি হলে যে তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কথা, সেই বাধা তাঁরা টপকে গেছেন। যাঁরা বড় বড় ঋণখেলাপি হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত, তাঁদের আটকানোর কোনো ক্ষমতা ব্যাংকগুলোর মোটেও নেই। অসীম আর্থিক ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে তাঁরা একদিকে অর্থঋণ আদালতের রায়গুলোকে উচ্চতর আদালতে রিট করে আটকে দিচ্ছেন, অন্যদিকে বছরের পর বছর খেলাপি ঋণের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে তা শোধ করছেন না। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বড় ও চিহ্নিত ঋণখেলাপিদের আটকানো যাচ্ছে না।প্রথম আলো: এমনিতে মামলা করেও খেলাপি ঋণ আদায় করা যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগেও এখন সেই সুযোগ মিলছে না। তাহলে খেলাপি ঋণ আদায়ে আর কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন?মইনুল ইসলাম: নির্বাচনের সময় ঋণখেলাপিদের ঋণ আদায়কে সুযোগ মনে করি না। কারণ, বড় বড় ঋণখেলাপির সবাই খুব ধুরন্ধর ব্যক্তি। তাঁরা জানেন কোন কায়দা অবলম্বন করলে ঋণ শোধ না করেও খেলাপি ঋণ থেকে পার পাওয়া যাবে। সত্যিকারভাবে যদি তাঁদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে হয়, তাহলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। রতিটি ব্যাংকের শীর্ষ দশ খেলাপির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ঋণখেলাপিদের দেশে-বিদেশে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নজির তৈরি করতে হবে। এ রকম শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না হলে কোনোভাবেই খেলাপি ঋণ আদায় করা যাবে না।প্রথম আলো: রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো সরকার ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে বলে আপনার বিশ্বাস হয়?মইনুল ইসলাম: সরকার চাইলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারে। বর্তমান সরকার করেনি, আগের সরকারগুলোরও করেনি। কারণ, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে আছেন। তাঁরা ব্যাংকের ঋণ শোধ করবেন না। ঋণের অর্থ তাঁরা বিদেশে পাচার করেছেন। বাংলাদেশে আমরা যেটাকে খেলাপি ঋণ বলি, সেটা পুঁজি হিসেবে পাচার হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার চাই। দলগুলো যদি সুস্পষ্টভাবে অঙ্গীকার করে যে প্রতিটি ব্যাংকের শীর্ষ দশ ঋণখেলাপিকে বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে, তাহলে আমরা বুঝে নেব এ বিষয়ে দলগুলোর সদিচ্ছা আছে।প্রথম আলো: প্রার্থীদের হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যেসব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের অনুমানের মিল নেই। হলফনামার তথ্য যাচাই করলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে?মইনুল ইসলাম: হলফনামায় কোনো দিন প্রার্থীরা কালোটাকার কোনো হিসাব প্রদর্শন করবেন না। ফলে হলফনামার মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রকৃত সম্পদের হদিস পাওয়া যাবে না। দেশে যেসব ধনাঢ্য ব্যক্তি আছেন, তাঁদের বেশির ভাগের অর্থ হলো কালোটাকা। তাঁদের ধরার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী না করলে এই কালোটাকার সন্ধান পাওয়া যাবে না।প্রথম আলো: নির্বাচনের বছরে দেশ থেকে অর্থ পাচার বেড়ে যায়। সেটি কেন?মইনুল ইসলাম: শুধু নির্বাচনের বছরে নয়, বাংলাদেশ থেকে সব সময় পুঁজি পাচার হচ্ছে। হুন্ডি ব্যবস্থায় প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠানোর কারণে পুঁজি পাচার এখন সহজ। যে পরিমাণ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো হয়, সেই পরিমাণ টাকা পাচার হচ্ছে। প্রবাসীরা বিদেশে হুন্ডির অর্থ পরিশোধ করছেন। দেশে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা সেই টাকা প্রবাসীদের পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছেন। দেশে যে টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালোটাকা। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাবে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ৯০০ কোটি ডলার পুঁজি পাচার হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি প্রতিবছর ৯০০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই অর্থ যদি দেশে থাকত তাহলে বিনিয়োগে গতিশীলতা বাড়ত। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার দেড় থেকে দুই শতাংশ বাড়ত। প্রথম আলো: নির্বাচনের বছরে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কায় দেশে বিনিয়োগ কমে যায়। এটা কেন হয় বলে মনে করেন আপনি?মইনুল ইসলাম: বাংলাদেশের মতো দেশে নির্বাচনের বছরে নির্বাচনকে ঘিরে একটা অনিশ্চয়তা থাকে। এ কারণেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কায় নির্বাচনের আগে-পরে বিনিয়োগ কম হয়। তবে এবার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা দূরীভূত হয়েছে। এবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে সত্যিকারভাবে যদি জনগণ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে পারে, তাহলে পেশিশক্তির মাধ্যমে কোনো এক পক্ষ নির্বাচনে জালিয়াতি করবে—সেই আশঙ্কাও কমে যাবে। রাজনৈতিক সংঘাত না হলে বিনিয়োগে অনিশ্চয়তাও কেটে যাবে। তখন বৈদেশিক বিনিয়োগের গতিধারা আরও জোরালো হবে। নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে সংঘাত না হলে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।প্রথম আলো: নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, রাজনীতিবিদেরা এখন মাছ চাষ ছেড়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ দেখাচ্ছেন। এটা কেন করছেন তাঁরা?মইনুল ইসলাম: মাছ চাষে রাজনীতিবিদদের বিনিয়োগের যে চেষ্টা শুরু হয়েছিল, তা ছিল মূলত কালোটাকা লুকানোর হাস্যকর চেষ্টা। মৎস্য খাত বেছে নেওয়ার কারণ হলো, পানির নিচে কত মাছ আছে সেটা তো আর কেউ পরীক্ষা করতে পারবে না। তবে কর সুবিধা তুলে নেওয়ার পর তাঁরা এখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। কারণ, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে যে মূলধনি মুনাফা, তা এখনো করমুক্ত। এবারও রাজনীতিবিদদের মধ্যে অনেক মৎস্য ব্যবসায়ী আছেন। তবে অনেকের আয় এত বেড়ে গেছে যে মৎস্য ব্যবসা দিয়ে পুরোটা দেখানো যাচ্ছে না। এ জন্যই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে। শেয়ারবাজারে রাজনীতিবিদদের প্রকৃত বিনিয়োগ কত, তাও জানার পদ্ধতি বা সুযোগ নেই বললেই চলে। | 385,390 |
অনলাইন ডেস্ক | life-style | জীবনযাপন | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ১২:০৪ | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ১৩:২০ | -1 | null | প্রবীণদের দেশ! | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/508648 | অর্থনৈতিক ও জীবনযাপনের মানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে অনেক। কমেছে মৃত্যুহার, বেড়েছে গড় আয়ু। কিন্তু জীবনের প্রত্যাশা কি কমে গেছে? তরুণ-তরুণীরা বিয়ে বা সন্তান ধারণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। জাপানে দিন দিন এভাবেই কিশোরদের তুলনায় বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ হিসাবমতে দেশটিতে এখন প্রতি চারজনে একজনের বয়স ৬৫ বছর।সরকারি এক হিসাব বলছে, জাপানের জনসংখ্যা গত চার বছর ধরেই লাগাতার কমেছে। কমতে কমতে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় পনেরো বছর বা ২০০০ সালের চেয়েও কমে গেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এএফপি।শুক্রবার প্রকাশিত জাপানের এই সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ০ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ২ লাখ ১৫ হাজার জন কমেছে। এই হিসাব অনুযায়ী গত বছরের ১ অক্টোবর জাপানের জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার। দীর্ঘদিন ধরে জাপানে বসবাসরত বিদেশিদেরও এই হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।সর্বশেষ এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে এখন ১৪ বা তার চেয়ে কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের তুলনায় ৬৫ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী নারী-পুরুষের সংখ্যা বেশি। আর ৬৫ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী নাগরিকের মোট সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ।জাপানের এই জনসংখ্যা পরিস্থিতি দেশটির নীতিনির্ধারকদের জন্য একটা বড় দুশ্চিন্তার কারণ। কেননা ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীর পেনশনের অর্থ জোগাতে হবে আগামী দিনের কর্মজীবী তরুণ-তরুণী প্রজন্মকেই। কিন্তু জন্মহার ক্রমেই কমতে থাকায় ভবিষ্যতের কর্মক্ষম প্রজন্মই তো সংখ্যায় অনেক ছোট হয়ে যাবে।কিন্তু অন্য অনেক দেশের মতো বহিরাগত শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে খুব একটা উৎসাহী নয় জাপান। জনসাধারণও এ ধরনের অভিবাসনের ব্যাপারে খুবই সতর্ক।জাপান সরকারের হিসাব অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হার বজায় থাকলে ২০৬০ সালে দেশটির জনসংখ্যা এখনকার চেয়ে আরও কমে গিয়ে হবে মাত্র ৮ কোটি ৬৭ লাখ। আর তখন দেশটিতে প্রতি ১০ জনের ৪ জনেরই বয়স হবে ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি। | 132,802 |
বগুড়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:১২ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:১৮ | বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ | null | লেখাপড়ায় বাধা দেওয়ায় এ কেমন প্রতিবাদ! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/628402 | লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতার স্বপ্ন ছিল মেয়েটির। ইচ্ছা ছিল, বাবা-মায়ের দরিদ্র সংসারের হাল ধরবেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে অনার্সে উঠে সে লক্ষ্য পূরণে এগিয়েও যান। কিন্তু মাঝপথেই তাঁকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়।এরপরও পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মেয়েটি। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, তাতে বাদ সাধে শ্বশুরবাড়ির পরিবার। আর মানতে পারেননি। ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে শেষমেশ আত্মহত্যাই করলেন তিনি। তাঁর এভাবে মৃত্যুর জন্য স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার। পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।জীবন দিয়ে এমন প্রতিবাদ করা মেয়েটি হলেন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অনার্সের ছাত্রী অদম্য মেধাবী হাওয়া খাতুন। মেয়েটির স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়িয়েছিল প্রথম আলো।গত বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় বগুড়া শহরতলির কইচর গফুর সড়কের পাশের রেললাইনে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন হাওয়া। বগুড়া শহরতলির বড় বেলাইল গ্রামের ভ্যানচালক আবদুল হান্নানের মেয়ে হাওয়া ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বগুড়ার পল্লীমঙ্গল উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ও ২০১৪ সালে নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।পরিবার জানায়, গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা শেষ না হতেই বাবা আবদুল হান্নান মেয়ে হাওয়া খাতুনের বিয়ে ঠিক করেন। সে বিয়েতে মত ছিল না তাঁর। মেয়েটার একটাই কথা ছিল, আগে পড়াশোনা। তারপর বিয়ে। কিন্তু পরিবারের চাপে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় হাওয়াকে। তবে মেয়েটির শর্ত ছিল, বিয়ের পর পড়াশোনা করতে দিতে হবে। নিজ পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে রাজি হয়। বিয়ের দুই মাস পর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে হাওয়া ঠিকই জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। এরপর আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন।পরিবারের অভিযোগ, অনার্সে ভর্তির পর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ভুল বুঝতে পারেন হাওয়া। বাড়ির লোকজন পড়াশোনা বন্ধ করতে বলেন। বাধা দেন কলেজে যাতায়াতে। বাধা উপেক্ষা করেই কলেজে যাতায়াত করতেন তিনি। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এতে কলেজে যেতে না দিয়ে একরকম বাড়িতে আটকে রাখা হয় তাঁকে। নানা কৌশলে গত বুধবার কলেজে যান টেস্ট পরীক্ষার ফি জমা দিতে। কিন্তু জানতে পারেন সময় আগেই পেরিয়ে গেছে, একটা পরীক্ষাও হয়ে গেছে।স্বপ্নভঙ্গের এ ধাক্কা মেনে নিতে পারেননি হাওয়া। কলেজ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হাওয়া।বড় বেলাইল গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাওয়া খাতুনের মা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেন। অর্থকষ্ট আর পরিবারের দৈন্যের কারণে ঠিকমতো খাবার জুটত না হাওয়ার। নানা প্রতিকূলতাকে জয় করেই এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন তিনি। অদম্য মেধাবীদের জন্য প্রথম আলোর দেওয়া বৃত্তিতে পড়াশোনা চালিয়ে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পান। পরীক্ষা চলাকালে গত বছরের ৬ জুলাই তাঁকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়।বাবা আবদুল হান্নান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মেয়েটা আমার পড়াশোনা ছাড়া কিছুই বোঝে না। পড়ার খরচ জোগাতে ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়াত। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বড় ছেলেটা বিকম শ্রেণিতে পড়ে। টাকার অভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি সেও একটা দরজির দোকানে সেলাইয়ের কাজ করে।’বাবা বলেন, ‘হাওয়ার এইচএসসি পরীক্ষা চলছিল। এক আত্মীয়ের পীড়াপীড়িতে মেয়েটাকে বিয়ে দিতে রাজি হলাম। জামাই আজিজুল হক কলেজের পাশে কামারগাড়ি রেলগেটে পোশাকের ব্যবসা করে।’মা ডলি বেগম বলেন, ‘কলেজে ফি দিতে না পেরে মন খারাপ করে সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েটা সোজা আমার কাছে আসে। অনেকক্ষণ কান্নাকাটি করে। শাশুড়ি-জামাই পড়াশোনা বাদ দিতে চাপ ও নানাভাবে নির্যাতন করছে বলে জানায়। মিনিট দশেক পর তড়িঘড়ি শ্বশুরবাড়ির কথা বলে বেরিয়ে যায়। ঘণ্টা দু-এক পর খবর আসে মেয়েটা ট্রেনে ঝাঁপ দিয়েছে।’তবে হাওয়া খাতুনের স্বামী বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ার সেলিম খলিফা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এসব অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘পড়াশোনার প্রতি অন্য রকম এক ঝোঁক ছিল হাওয়ার। এ জন্য আমি কখনো ওকে পড়াশোনা বাদ দিতে বলিনি। বুধবার টেস্ট পরীক্ষার ফি বাবদ ওকে ৫০০ টাকা দিই। নিজে মোটরসাইকেলে কলেজে নামিয়ে দিয়ে আসি।’বগুড়া রেলস্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘ওই কলেজছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ | 167,865 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৪৪ | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৪৫ | বাণিজ্য | 0 | সাত তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার মেলা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/53833 | সাতজন তরুণ। কঠোর পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে নিজেদের নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পালক। নিজেদের ছোট্ট কারখানায় তৈরি করছেন বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্য। বিশ্বমানের এসব পণ্যসামগ্রী ঠাঁই পাচ্ছে নিজস্ব দোকানের পাশাপাশি দেশের বড় ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্রগুলোয়। আবার কখনো তা যাচ্ছে বিদেশে।এই তরুণেরা এবার নিজেদের পণ্যসামগ্রী নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। মেলাটি বসেছে রাজধানীর দিলকুশায় হোটেল পূর্বাণীর জলসাঘরে। সাত তরুণের সাত স্টলে মিলবে চামড়ার জুতা থেকে শুরু করে জ্যাকেট, বেল্ট, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, মানিব্যাগ, চাবির রিং, ফোল্ডার, কার্ড হোল্ডার, টিস্যু বক্সসহ অনেক কিছু।তরুণ এই সাত উদ্যোক্তা মিলে একটি সংগঠনও করেছেন। নাম হাজারীবাগ গ্রুপ। জনতা ব্যাংকের অর্থায়নে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইটিসি জেনেভার যৌথ উদ্যোগে বিএলএসসি প্রকল্পের সহযোগিতায় গ্রুপের পক্ষ থেকে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী মেলাটি গতকাল সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।হাজারীবাগ গ্রুপের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য ডিউস লেদারের মো. নাজমুস সাদাত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে স্নাতক শেষ করার আগেই তিনি নেমে পড়েন উদ্যোক্তা হওয়ার দৌড়ে। তিন বছর আগে ছয় লাখ টাকার পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। শুরু থেকেই বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরি করে দেশের বড় বড় ব্র্যান্ডকে সরবরাহ করতে থাকেন।নাজমুস সাদাত জানালেন, হাজারীবাগ গ্রুপের সাতজনই ইনস্টিটিউট অব লেদার থেকে পাস করা। ইতিমধ্যে গ্রুপের পক্ষ থেকে হাজারীবাগ ও বনানীতে ‘লেদার কেইভ’ নামে দুটি বিক্রয়কেন্দ্র খুলেছেন তাঁরা। এখানে গ্রুপের সাত সদস্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা পণ্য পাওয়া যায়।আরেক উদ্যোক্তা থ্রি টেকের মো. তাছনিম আলম। গ্রুপের সভাপতি। তিনি জানালেন, ২০০৭ সালে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। বর্তমানে হাজারীবাগ এলাকায় তাঁর নিজস্ব দুটি বিক্রয়কেন্দ্র আছে। দেশের বাজারের পণ্য বিক্রি ছাড়াও বছরে ১৫ থেকে ২০ হাজার ডলারের রপ্তানি করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ১৩ জন শ্রমিক।তাছনিম আলম বলেন, ‘আমাদের গ্রুপের সব সদস্যই রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করেন। বড় ধরনের রপ্তানিতে যেতে হলে তিন থেকে চার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন। সেটি আমাদের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব। তবে একটি কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টার (সিএফসি) করার উদ্যোগ এগিয়ে চলছে।’ এটি হলে পণ্য তৈরির সুবিধাগুলো একসঙ্গে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।থ্রি টেক ও ডিউস ছাড়া অন্য পাঁচ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্যাসি, অ্যাকসিস, ব্যাগ, কারিগর ও এস এ অথেনটিক লেদার ক্র্যাফটস।আয়োজকেরা জানালেন, সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলার দরজা উন্মুক্ত। ‘পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্যমেলা-২০১৩’ শীর্ষক এই আয়োজনের পর্দা নামবে কাল বুধবার। মেলায় ১০ থেকে ৩০ শতাংশ মূল্যছাড় রয়েছে। | 22,783 |
যশোর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৪৪ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৪৭ | যশোর,বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন,অপরাধ | 0 | যশোরে বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগে হামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/721771 | জনসংযোগের সময় গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী মারুফুল ইসলাম ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে চারজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত জেলা বিএনপির এক নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় বিএনপি গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর লোকজনকে অভিযুক্ত করে সংবাদ সম্মেলন করে। পরে আওয়ামী লীগও পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে।কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল নয়টার দিকে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় মারুফুল ইসলাম তাঁর লোকজন নিয়ে গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপি ও যুবদলের চারজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বাড়ি থেকে মারুফুল ও তাঁর লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদে স্থানে নিয়ে আসে। পরে বিএনপির লোকজন গুরুতর আহত জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল আমিনকে (৬০) যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অপর তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এ ঘটনায় গতকাল বেলা একটার দিকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় বিএনপির প্রার্থী মারুফুল বলেন, ‘আমরা সকালে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় জনসংযোগে যাই। নয়টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম চাকলাদারের অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। ভয়ে আমরা দৌড়ে পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই। সেখানেও তাঁরা হামলা চালান। তাঁরা পিটিয়ে রুহুল আমিনের পা ভেঙে দেন। এ ছাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছোট মনির পিঠে ছুরিকাঘাত, যুবদলের কর্মী আবদুর জব্বার ও ওয়াসি আহমেদের পায়ে আঘাত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে।’ এ সময় তিনি নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচনের দিন আবারও সেনা মোতায়েনের দাবি জানান।পরে বেলা আড়াইটার দিকে প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, বিএনপির প্রার্থীর ওপর হামলার কোনো ঘটনা তাঁদের জানা নেই। আর যদি হামলার ঘটনা ঘটেও থাকে, তাতে আওয়ামী লীগের কারও জড়িত থাকার সুযোগ নেই। কারণ, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হতে চান।যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি সিকদার আক্কাছ আলী গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুঠোফোনে বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 186,624 |
রাফিয়া আলম | life-style | জীবনযাপন | ১১ আগস্ট ২০১৫, ০০:৪০ | ১১ আগস্ট ২০১৫, ১৮:১৭ | নকশা,পরামর্শ | 0 | সবসময় ওয়াই–ফাই | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/599029 | বেড়াতে এসেই অতিথি নাকি আজকাল চেয়ে বসেন ওয়াই–ফাই পাসওয়ার্ড। দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ওয়াই–ফাই এখন জনপ্রিয়। বাসায় হয়তো একটি ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এই সংযোগকেই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট কম্পিউটার—বাসার একাধিক যন্ত্রে ব্যবহার করা যায়। আর এ জন্য চাই রাউটার। আজকাল অনেকেই বাড়িতে রাখছেন ছোট আকারের এই প্রয়োজনীয় যন্ত্রটি।এর ফলে মাত্র একটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অনেকেই একই সঙ্গে পাচ্ছেন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। এ প্রসঙ্গে কথা হলো সাইবার কমিউনিকেশনসের কম্পিউটার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান ঠাকুরের সঙ্গে। তিনি জানালেন, তারহীন সংযোগ হলে একটি রাউটারের সাহায্যে একই সময়ে সর্বোচ্চ ১৫টি যন্ত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। আর তারের ইন্টারনেট সংযোগ হলে ১৫০টি পর্যন্ত যন্ত্রে একই সময়ে চালানো ইন্টারনেট চালানো যেতে পারে।ঢাকার বিসিএস কম্পিউটার সিটির বিভিন্ন দোকানে পাবেন ডি-লিংক, টিপি-লিংক, নেটগিয়ার, আসুস, মাইক্রোনেট, ট্রেন্ড নেটসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রাউটার। একক অ্যান্টেনার রাউটার ছাড়াও পাবেন দুই অ্যান্টেনার রাউটারের খোঁজ। একক অ্যান্টেনার রাউটারের দ্বিগুণ কম্পাঙ্ক (ফ্রিকোয়েন্সি) পাওয়া যায় দুই অ্যান্টেনার রাউটারে। এ ছাড়া নিতে পারেন বহনযোগ্য রাউটার বা পকেট রাউটার।ক্রমাগত রাউটার ব্যবহারে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় কি না, এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান এম এ আজহার। তিনি জানালেন, বাড়িতে রাউটার থাকার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা বেশ সহজ হয়ে যায়, তবে সব সময় মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার মনিটরের পর্দার দিকেই চোখ রাখা ঠিক নয়। দীর্ঘসময় এসব পর্দায় তাকিয়ে থাকলে চোখে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে। একটানা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে চোখের বিভিন্ন সমস্যা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এ ছাড়া যেকোনো স্থানে বসে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের পর্দায় কোনো কিছু দেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন আপনার ঘাড় ও পিঠ অবশ্যই সোজা থাকে, তা না হলে মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে।রাউটার ব্যবহারের কিছু টিপস দিয়েছেন কম্পিউটার সোর্সের ব্যবসা ব্যবস্থাপক (বিজনেস ম্যানেজার) মো. আবদুস সাত্তার।* ধুলা-ময়লা থেকে রাউটারকে বাঁচাতে মাঝেমধ্যে সেটি শুকনোভাবে মুছে রাখতে পারেন। তবে ডেটল, স্যাভলন বা কোনো প্রকার তরল পদার্থ ব্যবহার করে রাউটার পরিষ্কার করা ঠিক নয়, এতে যন্ত্রটির ক্ষতি হতে পারে।* ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনো কোনো সময় সংযোগ পেতে একটু অসুবিধা হতে পারে। এমনটা হলে অনেকে রাউটারের পোর্টে সংযোগের তারটি সঠিক অবস্থানে নেই ভেবে নেন এবং সেটিকে শক্তভাবে লাগানোর জন্য খুব জোরাজুরি করেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়। এর ফলে পোর্টের ক্ষতি হতে পারে। বরং এসব ক্ষেত্রে ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য রাউটারটি বন্ধ রেখে আবার চালু করলে অনেক সময়ই সংযোগ পেতে দেখা যায়। এভাবেও সংযোগ পাওয়া না গেলে ব্রন্ডব্যান্ড সংযোগের কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, সেটি জানতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাউটারের সংযোগকারী তার নিয়ে টানাহেঁচড়া করা চলবে না।* একটানা দীর্ঘসময় রাউটার চালু রাখলেও ক্ষতি নেই। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বা রাতে ঘুমাবার সময় রাউটার চালু রেখে দিলেও রাউটারের কোনো ক্ষতি হয় না। দরদামএকক অ্যান্টেনার রাউটারের দাম পড়বে ১২০০-২৬০০ টাকার মধ্যে। ডাবল অ্যান্টেনার রাউটারের দাম ২০০০-৬৮০০ টাকা। এ ছাড়া বিশেষ ধরনের থ্রিজি-ফোরজি রাউটার পাবেন ২০০০-১৯৫০০ টাকায়। পকেট রাউটার পাবেন ৫৫০০ টাকার মধ্যে। | 159,247 |
মোস্তাফিজুর রহমান | education | শিক্ষা | ০২ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৩২ | ০২ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৩৬ | পড়াশোনা | 0 | বাংলা ২য় পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/492196 | ব্যাকরণপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা ২য় পত্রের ব্যাকরণ অংশ থেকে প্রশ্নোত্তর ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হলো।প্রশ্ন: পারিভাষিক শব্দের প্রয়োগবিধি কী কী?উত্তর:প্রয়োগবিধি: পরিভাষা ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। সেগুলো নিচে দেওয়া হলো:১. মূল ভাষায় প্রতিশব্দ না থাকলে পরিভাষা প্রয়োগ করা যায়। যেমন: পুলিশ চোরকে ধরতে এসেছে। পুলিশের প্রতিশব্দ নেই।২. মূল ভাষায় টেকসই প্রতিশব্দ না থাকলে পরিভাষা প্রয়োগ করা হয়। যথা: ছেলেমেয়েরা টেলিভিশন দেখছে। টেলিভিশন শব্দের প্রতিশব্দ দূরদর্শন। তবে এ শব্দটি টেকসই নয়।৩. মূল ভাষায় প্রতিশব্দটি অপ্রচলিত হলে পরিভাষা প্রয়োগ করা হয়। যথা: টেবিলে কলমটা রাখো। টেবিলের প্রতিশব্দ চৌপায়া, তবে এটি প্রচলিত নয়।৪. মূল ভাষার প্রতিশব্দটি সর্বসাধারণের বোধগম্য না হলে পরিভাষা ব্যবহার করা হয়। যেমন: গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪হ্ন ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিগ্রির প্রতিশব্দ মাননির্ণয়ক বিশেষ বলে অভিহিত করা হয়। তাই ডিগ্রি লেখাই শ্রেয়।৫. পৌনঃপুনিক ব্যবহারের কারণে প্রতিশব্দ থাকলেও পরিভাষা প্রয়োগ করা যায়। যথা: অ্যাকাউনট্যান্ট পদে লোক নিয়োগ করা হবে। Accountant-এর প্রতিশব্দ হিসাবরক্ষক। কিন্তু অ্যাকাউনট্যান্ট বারবার ব্যবহূত হয়।৬. সহজে গ্রহণযোগ্য পরিভাষা প্রয়োগ করা যায়। যেমন: টেলিফোন নষ্ট হয়ে গেছে। টেলিফোনের প্রতিশব্দ ‘দূরালাপনী’ কিন্তু টেলিফোন সহজে গ্রহণযোগ্য।৭. অফিস-আদালতে ব্যবহার করা শব্দ পারিভাষিক হওয়াই উত্তম। যেমন: বিল জমা দেওয়া হোক। এখানে বিলের পরিবর্তে অন্য কোনো শব্দ প্রয়োগ করা ঠিক নয়।৮. অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মূল ভাষার প্রতিশব্দ সৃষ্টি করে শব্দের সর্বজনীনতা নষ্ট করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে পরিভাষা প্রয়োগ করা ভালো। যেমন: স্কুল খোলা নেই। স্কুলের পরিবর্তে বিদ্যালয় প্রয়োগ করলে সর্বজনীনতা নষ্ট হয়।প্রশ্ন: পারিভাষিক শব্দ কাকে বলে? পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা কী?অথবা, পারিভাষিক শব্দ কী? পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা কী লেখ।উত্তর:পরিভাষা: বাংলাদেশে রাষ্ট্রভাষা সর্বস্তরে চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ অনুসারে বাংলা ভাষা সর্বত্র ব্যবহারের প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু বাংলা ভাষা ব্যবহারে কিছু সমস্যা দেখা যায়। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে অফিস-আদালত ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার বহুল প্রচলন থাকায় কিছু শব্দ ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়ে গেছে। এই যে প্রচলিত ইংরেজি শব্দ, যার সঠিক প্রতিশব্দ বাংলায় আবিষ্কৃত হয়নি বা ব্যবহূত হয় না, তাকেই পরিভাষা বলা হয়। যেমন:Appeal, Bank, Boiler ইত্যাদি।পরিভাষার প্রয়োজনীয়তা:পরিভাষা ব্যবহারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়তা হয় তখন, যখন প্রচলিত শব্দটির কোনো বাংলা প্রতিশব্দ যখন পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও সেটি যদি অপ্রচলিত থাকে, তবে পরিভাষার প্রয়োজন দেখা দেয়। মনে রাখা দরকার, ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। ভাষা প্রবহমান নদীর মতো।পরিভাষা সুনির্দিষ্ট অর্থবহ বলেই তা প্রচলিত হয়েছে। অনেক সময় মূল ভাষার শব্দ টেকসই থাকে না বলেও পরিভাষা ব্যবহার করা হয়।মনে রাখতে হবে, পরিভাষা, বিকল্প ভাষা ও সহজবোধ্যতার জন্যই ব্যবহূত হয়। যেমন: পুলিশ, ফ্যান-এর প্রতিশব্দ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলেই পরিভাষা ব্যবহার করতে হয়।# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালশিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | 128,106 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:১৭ | ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:১২ | নোয়াখালী,ধর্ষণ,আইন ও বিচার,নারী নির্যাতন | null | সুবর্ণচরে নারী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1572878 | নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের এক গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী গত সোমবার রাতে সুবর্ণচরের চরজব্বার থানায় এ মামলা করেন। তবে তাঁরা আগে ভোট দেওয়া নিয়ে ঝামেলার কথা জানালেও মামলায় তা উল্লেখ নেই। মামলায় বলা হয়েছে ‘পূর্ববিরোধের’ কথা।চরজব্বার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, একই এলাকার মোশারফ, সালাউদ্দিন, বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু ও সোহেলসহ নয়জন মামলার আসামি। মামলার পর রাতেই আসামি বাদশা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামি ঘটনার বিষয়ে কিছু স্বীকার করেননি। আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।ওই নারীর স্বামী প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার রাতে পুলিশ তাঁকে মামলা করার জন্য হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি সেখানে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন। পুলিশ তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী এজাহার লিখে আসামিদের নাম ঠিক আছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি তাতে সম্মতি দেন। পুলিশ তাঁকে পুরো এজাহার পড়ে শোনায়নি। তিনিও পড়ালেখা না জানায় এজাহার পড়ে দেখতে পারেননি।এজাহারে ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়া নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি বাদ পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি বলেন, বাদী যা যা বর্ণনা করেছেন, তা-ই উল্লেখ করা হয়েছে। এখন যদি তিনি কিছু বাদ গেছে বলে দাবি করেন, তদন্তে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খলিল উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসাধীন নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন আছে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষার ফল বুধবার (আজ) নাগাদ পাওয়া গেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।নির্যাতনের শিকার নারী বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সবাই একই এলাকার চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের লোক। তাঁরা সবাই নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। ভোটের দিন আসামিরা তাঁকে তাঁদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তাতে রাজি না হলে এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে যুবকেরা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ওই দিন রাতে বাড়িতে গিয়ে তাঁরা মারধর ও ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠনএ ঘটনায় তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এ ঘটনার নিন্দা ও জড়িত ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও দেশের মালিকানা ফিরে পেতে সংগ্রামরত জনগণ। | 385,719 |
-1 | opinion | মতামত | ১০ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২২ | ১০ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২৩ | সম্পাদকীয়:,মতামত | null | যেকোনো মূল্যে শান্তি রক্ষা করতে হবে | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/419797 | ৫ জানুয়ারিকেন্দ্রিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত নয় ব্যক্তির প্রাণহানি, গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নাশকতার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার কাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে সরকার যে অপরিণামদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ কম। কিন্তু বিএনপি অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সহিংসতা ও নাশকতা পরিহারে সচেষ্ট বলেও প্রমাণ পাওয়া যায় না।সন্দেহ নেই যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গোটা দেশে একটা অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগজনক পরিবেশ বিরাজ করছে। আর এই অস্বস্তি যে আকস্মিকভাবে উবে যাবে, তাও মনে হয় না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি অবরোধ প্রলম্বিত হতে পারে, আর সেটা না হলেও সহজে অনুমেয় যে আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথের প্রতিবাদসর্বস্ব কর্মসূচি পালনে বিরোধী দল সক্রিয় থাকবে। সুতরাং সরকারের কাছে এ বিষয়ে যেমন বিচক্ষণতা প্রত্যাশিত, তেমনি আমরা বিরোধী দলকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা কোনো অজুহাতেই নাশকতার পথ অবলম্বনের সুযোগ নেই। বিরোধী দল তাতের যৌক্তিক দাবি জনগণকে বোঝাতে পারলে এবং আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারলে কোনো কর্মসূচি পালন করতেই গায়ের জোর খাটাতে হয় না। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে যে বিভাজনরেখাটি আছে, সেটি যেন তারা কোনো অবস্থায়ই মুছে না ফেলে।আগে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সহিংসতা হয়েছে, সে জন্য এখনো সহিংস পথ অবলম্বন করতে হবে—এটি যুক্তির কথা হতে পারে না। আমরা সব ধরনের নাশকতা ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই। রেলের ফিশপ্লেট উপড়িয়ে কিংবা রাজধানীতে গাড়ি পোড়ানোর মতো নাশকতা করে যে গণতন্ত্র বা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা যায় না, সেটিও নেতা-নেত্রীদের উপলব্ধি করতে হবে। | 105,569 |
অনলাইন ডেস্ক | economy | অর্থনীতি | ১৪ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৩৯ | ১৪ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৪০ | শেয়ারবাজার | 0 | সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1020575 | সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। আজ সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দৈনন্দিন লেনদেনের গতি বেশ ভালো ডিএসইতে। অন্যদিকে, সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের গতি কম সিএসইতে।এ ছাড়া প্রথম দুই ঘণ্টায় বেশির ভাগ শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে দুই পুঁজিবাজারে।ডিএসইতে আজ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৬৪০ পয়েন্টে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ লেনদেনের পরিমাণ ৩৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। গত কার্যদিবসে এ সময় পর্যন্ত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৯১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩১১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ১৯৮টির। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টি কোম্পানির।সিএসইতে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সার্বিক সূচক কমেছে ৬৮ পয়েন্ট। মোট লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। গত কার্যদিবসে এ সময় পর্যন্ত লেনদেন হয় ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ২০৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ১২৪টির। দর অপরিবর্তিত ৩৫টির। | 265,096 |
সাধন বিকাশ চাকমা, বাঘাইছড়ি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৫ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৫ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | চার প্রজাতির নতুন পাখি এসেছে কাট্টলী বিলে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1067043 | রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের লংগদু উপজেলা সদর ইউনিয়নের কাট্টলী বিলে প্রতিবছরের মতো এবারও শীতকালীন দেশগুলো থেকে পরিযায়ী পাখি এসেছে। বাড়ছে পাখির সংখ্যাও। পাখি বিশেষজ্ঞরা বলেন, গত বছর এই বিলে ১০ প্রজাতির পাখি দেখা গেছে। আর এই বছর নতুন আরও চার প্রজাতির পাখি এসেছে।১৩ জানুয়ারি কাট্টলী বিলে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেদের মাছ ধরার নৌকার কাছাকাছি কয়েক হাজার পরিযায়ী ও দেশি পাখি বিলের পানিতে সাঁতরাচ্ছে। হ্রদের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঝাঁক বেঁধে উড়ছে পাখিরা। পাখির কলকাকলি ও ডানা ঝাপটানির শব্দে মুখর চারপাশ।জেলেরা বলেন, শীতের শুরুতেই ঝাঁক বেঁধে বিলে আসা শুরু করে পরিযায়ী পাখিরা। বিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখিদের অবাধ বিচরণ। কাট্টলী বিলের জেলে মো. জাকির হোসেন ও মো. নজরুল ইসলাম প্রথমআলোকে বলেন, বিলে কয়েক হাজার জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিন কয়েক মেট্রিক টন মাছ শিকার করা হয়। মাছ ধরার সময় কিছু মাছ পানিতে পড়ে যায়। সেই মাছ খেতে পাখিরা ভিড় জমায়। এ বছর নতুন নতুন পাখি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া এখানকার লোকজন শিকার করেন না বলে, পাখিরা নির্ভয়ে এখানে আসছে।পরিবেশ ও পাখি বিশেষজ্ঞরা জানান, কাট্টলী বলে পরিযায়ী পাখির মধ্যে আছে টিকিহাঁস, বালিহাঁস, গিরিহাঁস, ছোট সরালি, বড় সরালি, চখাচখি, লেঞ্জা হাঁস, গাঙচিল, গাঙ কবুতর, ছোট ডুবুরি, বড় ডুবুরি, ফিশ ইগল, মেটে মাথা টিটি, হটটিটি ইত্যাদি। এ ছাড়া দেশি পাখির মধ্যে আছে পানকৌড়ি, চিল, কানিবক, সাদা বকসহ নানা ধরনের পাখি।বাঘাইছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি মো. আবুল ফজল প্রথমআলোকে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশকর্মীদের প্রচারণা কারণে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য পাখির শিকার অনেক কমে গেছে। পাখিরাও অনেক নিরাপদ বোধ করছে। তাই শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজার হাজার পাখি প্রতিবছর কাট্টলী বিলে আসছে।পাখি বিশেষজ্ঞ রোনাল্ড হালদারপ্রথমআলোকে বলেন, ‘হিমালয় ও সাইবেরিয়া অঞ্চলসহ শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এ দেশে আসে। যেখানে নিরাপত্তা ও খাদ্য পায়, পাখিরা সেখানে যায়। আমাদের দেশে হাওর, বিল নদী-নালায় পরিযায়ী পাখিরা বিচরণ করে। শীত শেষে আবার চলে যায়।’রোনাল্ড হালদার বলেন, কাট্টলী বিলে ১২ থেকে ১৪ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে। গত কয়েক বছর আগে বিলের কয়েকটি জায়গায় পাখি দেখা যেত। এখন বিলের সর্বত্র পাখির দেখা মিলছে। এ বছর চার প্রজাতির নতুন পাখির এসেছে। এর মধ্যে ছোট ডুবুরি পাখি বিরল প্রজাতির। এ ছাড়া সংখ্যায় কম হলেও লেঞ্জ হাঁস, পলাশি ফিশ ইগল ও গিরিহাঁস দেখা যাচ্ছে বিলে। পরিযায়ী পাখির মধ্যে বিলে সবচেয়ে বেশি আছে টিকিহাঁস। বড় ডুবুরির সংখ্যাও বাড়ছে। | 287,204 |
ফখরুল ইসলাম | economy | অর্থনীতি | ৩১ জুলাই ২০১৬, ০০:২৭ | ৩১ জুলাই ২০১৬, ০১:২৮ | বাণিজ্য,বিশ্লেষণ | 0 | সর্বোচ্চ ১২% মুনাফা ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/930751 | বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে চাকরি বা ব্যবসা যা-ই করছেন না কেন, স্বজনদের জন্য অবশ্যই টাকা পাঠাচ্ছেন দেশে। সেই টাকা ছেলেমেয়ের পড়াশোনাসহ সাংসারিক কাজেই খরচ হচ্ছে। যাঁরা একটু বেশি টাকা পাঠাতে পারছেন, তাঁদের কেউ কেউ সুন্দর বাড়িঘরও তৈরি করছেন কষ্টার্জিত টাকায়।কিন্তু যাঁরা একটু ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন এবং যাঁরা একটু হিসাবি—সেসব প্রবাসী বাংলাদেশির জন্য ভালোই বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে রেখেছে সরকার। বাংলাদেশ সঞ্চয় অধিদপ্তরের চালু করা পাঁচ বছর মেয়াদি ‘ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড’ নামের বন্ডে বার্ষিক মুনাফা দেওয়া হচ্ছে ১২ শতাংশ হারে। অন্য কোনো সঞ্চয়পত্র বা বন্ডে এত মুনাফা এখন পাওয়া যায় না।যেকোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এই বন্ড কিনতে পারেন। বিদেশে লিয়েনে কর্মরত সরকারি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে কর্মরত কর্মচারীরাও (সব কর্মকর্তা এখন কর্মচারী) কিনতে পারেন ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড। বন্ড কেনা যায় নিজ নামের পাশাপাশি মনোনীত ব্যক্তির নামেও। বিদেশ থেকে যাঁর কাছে টাকা আসছে দেশে, তিনিও কিনতে পারেন এই বন্ড।বন্ডে বিনিয়োগে অত টাকা নেই বলে দুর্ভাবনায় আছেন? থাকলে সেটি ত্যাগ করুন। কারণ, সঞ্চয় অধিদপ্তর কিন্তু সব শ্রেণির আয়কারীর কথা বিবেচনা করেই মোট সাত ধরনের ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড চালু করেছে। এগুলো হচ্ছে ২৫ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের বন্ড। এই বন্ডে কেউ আট কোটি টাকা বা এর বেশি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করলে তাঁকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ঘোষণা করে সরকার।দেশে তফসিলি যেকোনো ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও ওয়েজ আর্নারের হিসাব পরিচালনাকারী শাখাগুলো থেকে এই বন্ড কেনা যায়। বিদেশে যেসব বাংলাদেশি ব্যাংক কাজ করছে এবং বাংলাদেশি ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবেও যেসব ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউস কাজ করছে, সেগুলো থেকেও ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনা যায়।বন্ডটি কিনতে ‘ডিবি-১’ নামের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হয়। এর সঙ্গে দাখিল করতে হয় প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) দেশে পাঠানোর দালিলিক প্রমাণাদি। পরিশোধ করতে হয় নগদ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স হিসেবে পাওয়া বৈদেশিক মুদ্রা থেকে রূপান্তরিত বাংলাদেশি টাকা।ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের বিশেষ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। যেমন ‘মৃত্যুঝুঁকি-সুবিধা’। উদাহরণ দিয়ে সঞ্চয় অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘ধরুন, পাঁচ বছর মেয়াদি ১ লাখ টাকার বন্ড কিনলেন একজন। মেয়াদ শেষে তাঁর কমপক্ষে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। চক্রবৃদ্ধি হার বিবেচনায় নিলে তা আরও বেশি হবে। কিন্তু কেনার কয়েক দিন পরই ওই বন্ড-ধারক মারা গেলেন। তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে (নমিনি) তখন মোট মুনাফার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশসহ পুরো টাকা দেওয়া হবে।’ তবে মৃত্যুঝুঁকি-সুবিধায় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। আবার ওয়েজ আর্নারের বয়সও হতে হয় ৫৫ বছরের নিচে। মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধাটি নিতে গেলে মারা যাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আবেদন করতে হয়।সঞ্চয় অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এ বন্ডের আসল টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগযোগ্য এবং মুনাফা তোলা যায় ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে। বন্ডের বিপরীতে ব্যাংকঋণ নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। এ বন্ড কিনতে গেলে ফরেন কারেন্সি (এফসি) হিসাব থাকার বাধ্যবাধকতা নেই এবং এতে বিনিয়োগের কোনো ঊর্ধ্বসীমাও নেই। বন্ডের বিপরীতে প্রাপ্ত মূল টাকা, মুনাফা এবং মৃত্যুঝুঁকি-সুবিধা শুধু বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে। বিনিয়োগের অঙ্ক ও অর্জিত মুনাফা—পুরো অর্থই আয়করমুক্ত।কেউ বিদেশে থেকে বন্ড কিনলে এর মেয়াদ শেষে দেশে কোন অফিস থেকে টাকা তুলবেন—তা আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হয়। একেকটি আবেদনে একজনের বেশি নমিনি দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে বন্ড-ধারকের আগে নমিনি মারা গেলে নমিনি পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। নইলে মৃত বন্ড-ধারকের উত্তরাধিকারীরা পাবেন আসল ও মুনাফার টাকা। সে ক্ষেত্রে শুধু মেয়াদপূর্তিতে টাকা দেওয়া হবে। কোনো কারণে হারিয়ে গেলে বা পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যু করা হয়।শারীরিকভাবে পঙ্গু বা অসুস্থতার কারণে বন্ড-ধারক স্বাক্ষর করতে না পারলে একজন গেজেটেড অফিসারের মাধ্যমে বন্ড-ধারকের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ এবং ডাক্তারের সনদ নিতে হয়। এরপর সরেজমিনে যাচাই শেষে টাকা পরিশোধ করা হয়।জানতে চাইলে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা গতকাল শনিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড সবচেয়ে জনপ্রিয়। কারণ, এই বন্ডে মুনাফা দেওয়া হয় সর্বোচ্চ এবং মুনাফার টাকা সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত।’ গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে ১ হাজার ৮৩ কোটি টাকা মূল্যের এই বন্ড বিক্রি হয়েছে বলেও জানান বাবলু কুমার সাহা। | 245,212 |
পাবনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০০:২৩ | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০০:২৪ | পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | মানববন্ধন ও পদযাত্রা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/488764 | ‘সবাই মিলে শপথ করি—দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করি’ স্লোগানে গতকাল শনিবার সকালে পাবনা শহরের আবদুল হামিদ সড়কে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও পদযাত্রা করেছে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি। সকাল ১০টায় দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন পোস্টার ব্যানার নিয়ে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা আবদুল হামিদ সড়কের অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে সমবেত হন। একপর্যায়ে তাঁরা মানববন্ধন করে। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে আবদুল হামিদ সড়কে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। | 127,001 |
সোহরাব হাসান | opinion | মতামত | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০৮ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৪৬ | সোহরাব হাসান,মতামত,রাজনীতি | null | ‘কাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য গুলি করছেন?’ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/700177 | শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করে বেরিয়েছেন আলিফুর রহমান। গতকাল তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ১৯৯০ সাল সম্পর্কে কী জানেন? তিনি বললেন, শুনেছি এরশাদের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন হয়েছিল। কেন আন্দোলন হয়েছিল সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানেন না। কেউ কিছু তাঁকে বলেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজের কাছে একই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এরশাদ নির্বাচিত একটি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এ কারণে মানুষ আন্দোলন করে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শফিকুর রহমানের মতে, পঁচাত্তরের পর যে স্বৈরতান্ত্রিক ধারা চলে আসছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এরশাদ ক্ষমতায় আসেন এবং নব্বইয়ে পদত্যাগে বাধ্য হন। এই প্রজন্মের তিন শিক্ষার্থীর বক্তব্য থেকে ইতিহাসের যে চিত্র পাওয়া যায়, তা পূর্ণাঙ্গ নয়, খণ্ডিত। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তাদের জানতে দেওয়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের মতো নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের ইতিহাসকেও যে যার মতো করে ব্যাখ্যা করছেন, সময়ের ব্যবধানে সেই ব্যাখ্যা আবার বদলেও দিচ্ছেন। নব্বইয়ের অব্যবহিত পর আন্দোলনরত তিন জোট স্বৈরতন্ত্রের পতন ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাকে ঘটা করে উদ্যাপন করলেও এখন আর কারও মধ্যে সেই জোশ লক্ষ করা যাচ্ছে না। কেউ স্বৈরাচারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দলভুক্ত করেছেন, কেউ বা খোদ স্বৈরাচারকে ক্ষমতার শরিক করে নিয়েছেন। এ কারণেই সেদিনের পরিত্যক্ত স্বৈরশাসক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দুই শীর্ষ নেত্রীকে নিয়ে উপহাস করার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন। আজ ২ ডিসেম্বর। নব্বইয়ের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বের সপ্তম দিন। ২৭ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারি পর থেকেই ঢাকাসহ দেশের সব বড় শহরে কারফিউ বলবৎ ছিল। কিন্তু ছাত্র–জনতা তা অমান্য করে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। এমনকি তারা নেতা–নেত্রীদের হুকুমেরও অপেক্ষা করেনি। ২ ডিসেম্বর কারফিউ উপেক্ষা করেই ছাত্ররা রাজপথে এরশাদের প্রতীকী বিচার বসিয়ে তাঁর ফাঁসি ঘোষণা করে এবং একটি গাছে তাঁর কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে তা কার্যকর করে। ওই দিনই ঢাকায় একটি প্রচারপত্র বিলি করা হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘কাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভাইয়ের বুকে গুলি করছেন?’ ২ ডিসেম্বরই এক সমাবেশে ছাত্রনেতারা ঘোষণা করেন, ‘বন্ধুদের লাশের সামনে দাঁড়িয়ে ঐক্য গড়েছি, এরশাদকে বিদায় না করে ঘরে ফিরব না।’স্বৈরাচারবিরোধী গণ–অভ্যুত্থানের ২৫ বছরআমরা আরও পেছনে গেলে দেখতে পাব, ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ইসলামী ছাত্রশিবির ছাড়া সব ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য পরিষদ গঠিত হয়। এরশাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত এক থাকার ঘোষণা দেয় তারা। এরপরই আটটি যুবসংগঠন মিলে যুব সংগ্রাম পরিষদ, ১৯টি শ্রমিক সংগঠন মিলে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, ৯টি কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন মিলে কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ, ১৮টি নারী সংগঠন মিলে ঐক্যবদ্ধ নারী সমাজ গঠিত হয় এবং তারা এরশাদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করে। শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলে ১৯৮৩ সালে গঠিত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটও আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। গত চার দিনের মতো ২ ডিসেম্বরও সাংবাদিকেরা সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করেন এবং দেশের সব সংবাদপত্র বন্ধ থাকে।সেদিনের ছাত্র–জনতার আন্দোলনের রূপ কী ব্যাপক ও বিস্তৃত ছিল, তার কিছুটা চিত্র পাওয়া যায়, এরশাদেরই এককালীন প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর রাজনীতির তিনকাল বইয়ে। তিনি লিখেছেন, ‘২৭ নভেম্বর ছাত্র–জনতা জরুরি আইন অমান্য করে মিছিল ও সমাবেশ করতে থাকে। পুলিশ ও বিডিআরের সঙ্গে ছাত্র–জনতার সংঘর্ষে সারা দেশে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়, এর মধ্যে ঢাকায় ৩০ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, রাজশাহীতে ৩ জন, খুলনায় ৩ জন, নারায়ণগঞ্জে ২ জন ও ময়মনসিংহে ৪ জন নিহত হন। তাঁর ভাষায় ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্র–জনতার চলমান আন্দোলন আরও তীব্র হয়। ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রীরাও লাঠিসহ মিছিল বের করে। ২৮ নভেম্বর সকালে মালিবাগে রেলপথ অবরোধ করলে লাইনে ট্রেন রেখে চালক পালিয়ে যান। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর অলিতে গলিতে হাজার হাজার মানুষ কারফিউ ভেঙে মিছিল করে। বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ছাত্র–জনতার খণ্ডযুদ্ধ হয় এবং প্রাণহানিও ঘটে। মিজানুর রহমান চৌধুরীর বই থেকে আমরা আরও জানতে পারি যে, এরশাদ আন্দোলনকারীদের দমন করতে পুলিশ–বিডিআরের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামালেও তারা ছিল নিষ্ক্রিয়। তাদের এই নিষ্ক্রিয়তার কারণেই শেষ পর্যন্ত এরশাদকে পদত্যাগ করতে হয়। ৩ ডিসেম্বরের ঘটনা নিয়ে পড়ুন আগামীকালসোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক। sohrab03@dhaka.net | 179,765 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:০১ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:০২ | আরব বিশ্ব | 0 | সুয়েজ খালে সন্ত্রাসী হামলা ব্যর্থ করার দাবি | http://www.prothom-alo.com/international/article/43890 | মিসরের সরকারি কর্তৃপক্ষ বলেছে, সুয়েজ খালে পণ্যবাহী একটি জাহাজে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নৌপথটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ওই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে সরকার।সুয়েজ খাল নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাব মামিশ শনিবার বলেন, পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজে হামলার চেষ্টা করেছিল ‘একজন সন্ত্রাসী’। ওই প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। পণ্যবাহী জাহাজটিও অক্ষত রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী কঠোরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।হামলার পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তবে কয়েকটি সূত্র জানায়, পণ্যবাহী ওই জাহাজ থেকে শনিবার একাধিক বিস্ফোরণের উচ্চমাত্রার শব্দ পাওয়া গেছে। সুয়েজ খাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে মিসরের সেনাবাহিনী।সুয়েজ খাল ধরে অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও ৪৫টি জাহাজ চলাচল করেছে।হামলার চেষ্টার ঘটনায় দেশটিতে বর্তমানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভরত সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের যোগসাজশ রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি গত ৩ জুলাই এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান। এর পর থেকে তাঁর সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের অভিযানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ নিহত হয়।সুয়েজ খাল এলাকায় বেশ কয়েকটি ইসলামি জঙ্গি সংগঠন তৎপর রয়েছে। এর পাশের সিনাই উপদ্বীপের উত্তর অংশে সম্প্রতি বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। সিনাই উপদ্বীপের সঙ্গে গাজা ও ইসরায়েলের সীমান্ত রয়েছে। মিসরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ওই এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সুয়েজ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ কিলোমিটার। একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে এটি মিসরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এএফপি ও বিবিসি। | 13,724 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৫:১৫ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৫:১৬ | আইন ও বিচার,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | চট্টগ্রামে বিএনপির ১২ জনকে কারাগারে পাঠালেন আদালত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/773473 | চট্টগ্রামে নাশকতার একটি মামলায় ইপিজেড থানা বিএনপির আহ্বায়ক সরফরাজ কাদেরসহ বিএনপির ১২ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনুর এ আদেশ দেন।চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ২০-দলীয় জোটের হরতালের সময় নগরের বন্দরটিলা কসাই গলির মুখে জোটের নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে ও তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আসামি করা হয় ৩১ জনকে।এর মধ্যে ১২ আসামি আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। অন্য আসামিদের মধ্যে তিনজন জামিনে ও বাকিরা পলাতক। | 202,733 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০৩ আগস্ট ২০১৩, ১৭:১৮ | ০৩ আগস্ট ২০১৩, ১৭:৩২ | বলিউড | null | যুক্তরাজ্যের ভিসা পাননি সালমান! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/34210 | পরবর্তী ছবির শুটিংয়ের কাজে গত সপ্তাহেই যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা ছিল সালমান খানের। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় সেখানে যেতে পারেননি ছবিটির মূল অভিনেতা সালমান। কোনো রকম কারণ না দেখিয়েই তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়নি। সালমানের কাছের মানুষদের ধারণা, সালমানের বিরুদ্ধে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যা মামলার বিচারকাজ ঝুলে থাকার কারণেই এমনটা ঘটেছে।এর মধ্যেই লন্ডনে ছবিটির শুটিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে সেখানে গিয়ে ছবির দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সালমানের। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত ভারত ছাড়তে পারেননি তিনি। সালমানের কাছের একটি সূত্রের বরাতে এমনটিই জানিয়েছে ‘মিড-ডে’।এ প্রসঙ্গে ছবিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘সালমানের ভিসার জন্য আবারও আবেদন করা হবে। তাঁর অনুপস্থিতির কারণে এর মধ্যেই ছবির শুটিংয়ের কাজ বেশ পিছিয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত তাঁর জন্য আমরা অপেক্ষা করব। আমাদের প্রত্যাশা, এই সময়ের মধ্যে তিনি যুক্তরাজ্যের ভিসা পেয়ে যাবেন।’সালমানের ভিসা না পাওয়ার পেছনের কারণ সম্পর্কে তাঁর কাছের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘আমাদের ধারণা, ২০০২ সালে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচারের কাজ ঝুলে থাকার কারণেই যুক্তরাজ্যের ভিসা পাননি তিনি। তা ছাড়া বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুনে অনেক বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।’ সূত্রটি আরও জানায়, ‘গত ১৯ জুলাই মামলার শুনানির সময় বলা হয়েছিল, ২৪ জুলাই রায় প্রদান করা হবে। সেদিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন সালমান। কিন্তু ২৪ তারিখেও এ-সংক্রান্ত কোনো রায় দেওয়া হয়নি। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৯ আগস্ট।’ প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে বান্দ্রায় একটি বেকারির সামনে ফুটপাতে ঘুমিয়ে ছিলেন পাঁচজন হতদরিদ্র মানুষ। ওই সময় সালমানের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি তাঁদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও চারজন আহত হন। অবশ্য বরাবরই সালমানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় তিনি চালকের আসনে ছিলেন না। ২০০৫ সালে সালমানের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। কোনো এক অজানা কারণে তাঁর প্রতি নমনীয় আচরণ করেন আদালত। বেপরোয়া ও অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দেওয়া হয়। ভারতীয় পেনাল কোডের ৩০৪(১) ধারায় এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ড।২০১১ সালে সালমানকে কঠোর সাজা দেওয়ার দাবি তোলা হয় মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বিচার কার্যক্রম আবার শুরু হয়। চলতি বছরের ২৪ জুন মুম্বাই সেশন কোর্টের বিচারক ইউ বি হেজিব জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২) ধারায় সালমানের বিচার-কার্যক্রম চলবে। এই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড।মামলায় হাজিরা দিতে গত ১৯ জুলাই দুই বোন অর্পিতা ও আলভিরাকে নিয়ে আদালতে হাজির হন সালমান। সেদিন জানানো হয়, ২৪ জুলাই রায় প্রদান করা হবে। দুই বোনকে নিয়ে ২৪ জুলাই আদালতে হাজির হন সালমান। কিন্তু সেদিনও রায় প্রদান করা হয়নি। তবে মামলাসংক্রান্ত নতুন কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানান আদালত।ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২) ধারায় সালমানের বিচার-কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(৩) ধারায় সালমানের বিচার-কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেন মুম্বাই সেশন কোর্ট। এই ধারায় যাবজ্জীবন কিংবা সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সালমানের মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিচারকও পরিবর্তন করা হয়। কাজের ব্যস্ততার কারণে মামলার পরবর্তী শুনানিগুলোতে সালমানকে হাজিরা না দিলেও চলবে বলে জানানো হয়েছে। | 7,002 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:২৯ | ২২ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:২৭ | ফুটবল,ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো | null | রোনালদোই বাঁচালেন রিয়ালকে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1472491 | বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।রিয়ালের হয়ে গোল করেছেন রোনালদো।ম্যাচের শুরুতে বিলবাওয়ের পক্ষে গোল করেন ইনাকি উইলিয়ামস।রোনালদো-বেনজেমা-মার্সেলো-রামোস-অ্যাসেনসিও-ভাসকেজ—সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বিলবাওয়ের বিপক্ষে একাদশে সবাই ছিলেন। তবু জয় পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। লা-লিগায় বুধবার রাতের ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-১-এ ড্র করে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। যদিও পুরো ম্যাচে আধিপত্য ছিল জিদান শিষ্যদেরই। কিন্তু একটা মুহূর্তই যখন পার্থক্য গড়ে দিতে যথেষ্ট, তখন আসলেই কিছু করার থাকে না। প্রথমার্ধের ১৪তম মিনিটে সেই মুহূর্তটি তৈরি করেন বিলবাওয়ের ইনাকি উইলিয়ামস। রিয়াল রক্ষণকে ফাঁকি দেন উইলিয়ামস, এড়িয়ে যান নাভাসের বাধাও। উইলিয়ামসের গোলে প্রথমার্ধেই ১-০ গোলে পিছিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। শেষতক রোনালদোই বাঁচালেন রিয়ালকে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে (৮৭তম মিনিট) রোনালদোর গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।১৪তম মিনিটের ওই মুহূর্তটি বাদ দিলে পুরো খেলায় এগিয়ে ছিলেন রোনালদো-বেনজেমারাই। ম্যাচের ৬৬শতাংশ সময়ে বল রিয়ালের খেলোয়াড়দের দখলে ছিল। জিদান–শিষ্যরা কর্নার আদায় করেন ১৬টি আর বিলবাও কর্নার পায় মাত্র ২টি।একের পর এক আক্রমণে বিলবাওয়ের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে প্রথম আক্রমণটা করেন রোনালদোই। ম্যাচের নবম মিনিটে কারবাজালের ক্রস থেকে পর্তুগিজ সেনার দুর্দান্ত হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসলে তখনই গোল পেত রিয়াল। প্রথমার্ধে বেনজেমা-রোনালদোর বোঝাপড়াটা ছিল দেখার মতো। তবে গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না কেউই। রিয়ালের একের পর এক শট কিছু এলোমেলো তো কিছু বিলবাওয়ের গোলরক্ষক কিংবা রক্ষণের বাধায় আটকে যায়। ১৩তম মিনিটে রোনালদো ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ১৪তম মিনিটে পাল্টা-আক্রমণে উঠে এসে গোল পায় বিলবাও। লা-লিগায় এই মৌসুমে নিজের সাত নম্বর গোল করে দলেকে এগিয়ে নেন ইনাকি উইলিয়ামস। রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়েরা বেশ কিছু শট নিলেও কাজের কাজ হচ্ছিল না। এ ক্ষেত্রে বিলবাওয়ের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক কেপা প্রশংসার দাবি করতেই পারেন।দ্বিতীয়ার্ধে এসে খানিকটা মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন রিয়াল তারকারা। জিদানের সাজানো রক্ষণভাগেও চিড় ধরে। যদিও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি বিলবাওয়ের খেলোয়াড়েরা। অন্যদিকে নিজেদের খেলায় ফিরে আসতেও সময় নেননি রিয়ালের খেলোয়াড়েরা। ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে ভালো সুযোগ পায় বিলবাও। সে সময় তিনবারের চেষ্টায় বল জালে জড়াতে না পারার খেসারত দিতে হয় তাদের। ৮৭তম মিনিটে মডরিচের দুর্দান্ত শটে ব্যাকহিল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে মাঠ ছাড়েন রিয়ালের সেনাপতি রোনালদো। | 361,474 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৯ জুলাই ২০১৭, ০০:০১ | ১৯ জুলাই ২০১৭, ০০:০১ | চলচ্চিত্র | 0 | হয়ে গেল বিড়ালপাখির আড্ডা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1256916 | আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে স্বাধীন ধারার নির্মাতাদের কৌতূহল বেশ। এসব নিয়ে অহেতুক মাতামাতি করতে গিয়ে তরুণেরা যেন নিজেদের চলচ্চিত্র ভাষার সঙ্গে আপস না করেন, সে জন্য আয়োজন করা হয় ‘বিড়ালপাখির মজমা’।১৫ জুলাই রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর সিনেপ্লেক্স মিলনায়তনে ছিল বিড়ালপাখি সিনেক্লাবের নিয়মিত আসর ‘বিড়ালপাখির মজমা ৩.০’। আসরটির আহ্বান করেন নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন। ছিলেন শুনতে কি পাও ছবির প্রযোজক সারা আফরীন। আড্ডায় কান, বার্লিন, লোকার্নোসহ বেশ কয়েকটি উৎসবে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন কামার। এ ছাড়া আলোচনা হয় চলচ্চিত্র নির্মাণে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তুতি ও প্রতিবন্ধকতা, উৎসবে পুরস্কার পাওয়া কয়েকটি চলচ্চিত্র নিয়ে। সঞ্চালনা করেন বিড়ালপাখি সিনেক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইশতিয়াক জিকো।এই আড্ডায় নিয়মিত সিনেমাও দেখানো হয়। বিভিন্ন আসরে বক্তৃতা দিয়েছেন নির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফ, অধ্যাপক নাদির জুনাইদ, কবি ও বিশ্লেষক সুমন রহমান, নৃবিজ্ঞানী মানস চৌধুরী, স্থপতি ও নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর, নির্মাতা ও প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, মেঘদলের কণ্ঠশিল্পী শিবু কুমার শীল, এনিমেটর মনিরুজ্জামান শিপু, অভিনয়শিল্পী মিশা সওদাগর প্রমুখ। | 327,387 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৯:২১ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২২:৩৪ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,এশিয়া কাপ ২০১৪ বিশেষ সংখ্যা | null | কোহলির সেঞ্চুরির কাছে হারল বাংলাদেশ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/156490 | ১৬ মার্চ ২০১২-এ এশিয়া কাপে এই ভারতের বিপক্ষেই বাংলাদেশ পেয়েছিল রূপকথার এক জয়। প্রায় দুই বছর পর একই টুর্নামেন্ট, একই প্রতিপক্ষ। কিন্তু ম্যাচের ফল এবার উল্টো! চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও বাংলাদেশকে হারতে হলো ৬ উইকেটে। ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের সেঞ্চুরির কাছে বিফলেই গেল বাংলাদেশের অধিনায়কের অনবদ্য সেঞ্চুরিটি। ফতুল্লায় আজ বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ চাপের মধ্যেই পড়ে ভারত। যদিও কোনো উইকেট না হারিয়ে বিরাট কোহলির দল ১১.১ ওভারে তোলে ৫০। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ২৮ করা শিখর ধাওয়ানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ফেরান আবদুর রাজ্জাক। এর কিছু পর জিয়াউর রহমানের ছোবলে ২১ করে ফেরেন আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা। তখন ভারতের রান রেট ৪.২৭, জিততে হলে ওভারপিছু তুলতে হবে ৬.০৫। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপও আগের মতো তারকাবহুল নয়। ম্যাচে বাংলাদেশই এগিয়ে।এ পর্যায়ে উইকেটে দাঁড়িয়ে গেলেন কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানে। বাংলাদেশের ইনিংসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক এনামুল-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটি। ভারতের ক্ষেত্রেও তা-ই। কোহলি-রাহানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে এল ২১৩। এ জুটি বাংলাদেশকে উইকেটবঞ্চিত রাখল প্রায় ৩২.৫ ওভার। তবে রুবেলের করা ৪০তম ওভারে দারুণ এক মওকা পেয়েছিল বাংলাদেশ। রুবেলের শর্ট বলে মিড উইকেটে দাঁড়ানো মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাহানে। পরে থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিলেন, ক্যাচ লুফে নেওয়ার সময় মুমিনুলের হাত মাটি স্পর্শ করেছে। তখনো ভারতের দরকার ৬২ বলে ৬৩।ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি কোহলি স্ট্রোকের দ্যুতি ছড়িয়ে তুলে নিলেন ১৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১২২ বলে ১৩৬ করা ভারতের অধিনায়ককে যখন দারুণ এক ইয়র্কারে ফেরালেন রুবেল, ততক্ষণে আসলে ম্যাচই একরকম শেষ! কিছুক্ষণ পরে ৭৩ করা রাহানেকেও ফেরান সোহাগ গাজী। কিন্তু সেটি পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল।ছয় বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে ভারত। চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও বাংলাদেশের এমনতর পরাজয়ের পর মাত্র তিনজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলা কতটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল, সে প্রশ্ন ওঠা মোটেও অমূলক নয়।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজে একটা সিরিজের পর এশিয়া কাপেও সেই পরাজয়ের বৃত্তেই বন্দী থাকল মুশফিকুর রহিমের দল। এ বৃত্ত থেকে বেরুতে চাইলে শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের। | 54,181 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ আগস্ট ২০১৬, ০১:৫৪ | ১৩ আগস্ট ২০১৬, ০১:৫৫ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/944587 | ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার দাবি তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও তৎকালীন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ দাবিতে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগ ছাত্র থাকাকালীন হলের দাবিতে আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে জগন্নাথের হল আন্দোলনের নেতা শরীফুল চৌধুরী বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কখনো অনাবাসিক হতে পারে না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের যে পরিবেশ, তা উচ্চশিক্ষার পরিপন্থী। ন্যূনতম থাকার পরিবেশই সেখানে নেই।বিজ্ঞপ্তি | 249,358 |
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:২৫ | ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:২৫ | গৌরনদী,বরিশাল,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গণপিটুনি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1011123 | বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের চেষ্টা চালান এক ব্যক্তি (৪২)। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় ব্যক্তিরা এগিয়ে এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দেন।স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী বাড়ির পাশে প্রতিবেশীর বাগানে চালতা কুড়াতে যায়। এ সময় আগৈলঝাড়া উপজেলার রতনপুর গ্রামের ওই ব্যক্তি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ও ওই ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।শিশুটির বাবা বলেন, ‘মাতবররা মোরে মামলা করতে বারণ করছে। মামলা করলে মোর মেলা ক্ষতি অইবে বইললা ভয় দেহায়। হেরা মীমাংসা করইররা দিতে চায়।’ | 261,120 |
-1 | sports | খেলা | ১৯ এপ্রিল ২০১৪, ০২:১৬ | ১৯ এপ্রিল ২০১৪, ০২:১৭ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | ব্রাজুকা-বিপত্তি? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/196111 | ২০১০ বিশ্বকাপের বল জাবুলানি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। গোলরক্ষকদের জন্য বলটা ছিল আতঙ্ক, অভিযোগ ছিল ক্যাসিয়াস ও নয়্যারদের। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের বল ব্রাজুকা নিয়ে অভিযোগ উঠল আগেই। কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনা বলেছেন, নতুন এই বলটা স্ট্রাইকারদের দারুণ পছন্দ হবে। কারণ, এটির ফ্লাইট বুঝতে জেরবার হতে হবে গোলরক্ষকের। ওসপিনার দাবি, ‘এই বলটা বাতাসে অনেক বেশি ভাসে। এটা দর্শকদেরও পছন্দ হবে। কিন্তু গোলরক্ষকদের এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেক বেশি খাটতে হবে। বলটা আসলে গোলের জন্যই বানানো।’ ওসপিনার কথা সত্যি কি না, সেটি সময় হলেই জানা যাবে। এএফপি। | 66,840 |
প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জুন ২০১৯, ১৬:২২ | ২৬ জুন ২০১৯, ১২:৩৮ | অপরাধ,টাঙ্গাইল,টাঙ্গাইল সদর,খুন,ঢাকা বিভাগ | 0 | টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র হত্যা: পুলিশ সদস্যসহ সব আসামির বিচার দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1601056 | টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র মো. সজিব মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।মো. সজিব মিয়া সদর উপজেলার আয়নাপুর এ এম মডেল হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ সকালে ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এ এম মডেল স্কুলের শিক্ষক মো. আসলাম মিয়া, মো. ফারুক মিয়া, পারুল বেগম, শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার ও রুবেল মিয়া।বক্তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়। আর পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন স্কুলছাত্র সজিব মিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।সজিব মিয়া ১৪ জুন বিকেলে সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের বাহির শিমুল গ্রামে নানার বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে বের হয়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। ১৬ জুন দুপুরে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় অজ্ঞাত এক তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই সজিবের মা জাহানারা বেগম লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। পরের দিন জাহানারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে কনস্টেবল মোশারফ হোসেন ও সজিব মিয়ার বন্ধু মো. সজিবের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তাদের দুজনকে গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দুজনই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে তাঁরা বলেন, সজিব মিয়ার দূরসম্পর্কের চাচা মনিরুজ্জামানের প্ররোচনায় তাঁরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে পুলিশ মনিরুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করে। | 407,406 |
হরি কিশোর চাকমা, রাঙামাটি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ আগস্ট ২০১৫, ০২:২১ | ০২ আগস্ট ২০১৫, ০২:২২ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | পাহাড়ে রবির আলোয় বর্ষা বন্দনা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/591253 | মঙ্গলপ্রদীপ হাতে মঞ্চে এলেন একদল আদিবাসী তরুণ-তরুণী। এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন উপস্থাপিকা। উপলক্ষ বর্ষা, কিন্তু প্রেরণা রবীন্দ্রনাথ। নাচের আসরের শুরুটাও হলো ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানের সুরে। গত ২৬ জুলাই রাঙামাটির রাঙাপানিতে অবস্থিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান মোনঘরের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল নাচের আসর। ২১ দিনব্যাপী নাচের কর্মশালার সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। প্রশিক্ষক ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রী ফিফা চাকমা। তাঁকে সহযোগিতা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক টিটু চাকমা। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে নাচ করেছেন। পাশাপাশি ছিল কত্থক ও সৃজনশীল নাচ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থাপিকা মুন চাকমা রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধানিবেদন করে বলেন, ‘আমাদের পথপ্রদর্শক, যার জ্ঞানের আলো অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে তিনিই আমাদের কবিগুরু।’ নাচের প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৩৫ জন নৃত্যশিল্পী মোট আটটি নাচ পরিবেশন করেন।অনুষ্ঠানে ফিফা চাকমার পরিচিতি তুলে ধরা হয়। কৃতী এই শিল্পী ২০১২-১৩ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘কত্থক নৃত্যে’ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ভারতে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়সহ নানা প্রতিযোগিতায় পেয়েছেন বহু পুরস্কার। এর আগে ঢাকায় নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা ও সািদ মহম্মদের ‘নৃত্যাঞ্চলে’ নাচ শিখেছেন। ফিফা চাকমা রাঙামাটিতে একটি নাচের স্কুল পরিচালনার পাশাপাশি আদিবাসী নৃত্যের শিকড়ের সন্ধানে কাজ করছেন। নাচে তাঁর উদ্ভাবনী চিন্তা ইতিমধ্যে রাঙামাটিতে সমাদর লাভ করেছে। | 156,830 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ এপ্রিল ২০১৪, ২০:৪০ | ১৫ এপ্রিল ২০১৪, ২০:৪৪ | -1 | null | দেশে প্রাকৃতিক ইতিহাস-নির্ভর জাদুঘর হবে: প্রধানমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/193105 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক ইতিহাস-নির্ভর জাদুঘরের (ন্যাচারাল হিস্টোরিক্যাল মিউজিয়াম) পাশাপাশি দেশে আরও একটি অত্যাধুনিক জাদুঘর নির্মাণ করা হবে।সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।পরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক কামরুন নাহার খানম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ২০১২-১৩ অর্থবছরের জাতীয় জাদুঘরের বার্ষিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রকাশনা হস্তান্তর করেন। বাসস | 65,924 |
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মে ২০১৪, ০১:৩২ | ১০ মে ২০১৪, ০১:৩৩ | গাইবান্ধা,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | দপ্তর গাইবান্ধায়, নিয়ন্ত্রণ রংপুরে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/212320 | প্রশাসনিক দপ্তর গাইবান্ধায়৷ কিন্তু কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে রংপুর থেকে। এ রকম ১০টি দপ্তরের সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও বিপাকে পড়ছেন। এদিকে জেলায় উন্নীত হলেও গাইবান্ধায় এসব দপ্তরের পূর্ণাঙ্গ কার্যালয় গড়ে ওঠেনি।গাইবান্ধা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৯৮৪ সালে গাইবান্ধা মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। কিন্তু ৩০ বছরেও এখানে পূর্ণাঙ্গ দপ্তর গড়ে ওঠেনি। এর কারণ রাজনৈতিক বৈষম্য ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বর্তমানে জেলার ১০টি দপ্তর স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। যেকোনো কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ওই সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের ৭০ কিলোমিটার দূরে রংপুরে স্থাপিত কার্যালয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এগুলো হলো বিটিসিএল, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সরকারি গণগ্রন্থাগার, দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সামাজিক বন বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন এবং ঔষধ প্রশাসন।বিটিসিএল: গাইবান্ধা শহরের বাংলা বাজার এলাকায় বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) দপ্তর রয়েছে। শহরের থানাপাড়ার কলেজশিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, টেলিফোন ও ইন্টারনেটের সংযোগ নিতে গেলে বিটিসিএল রংপুর অঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করতে হয়। সংযোগ পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি: সাদুল্যাপুর ও সুন্দরগঞ্জ-এ দুই উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকার ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, বিল ও সংযোগসংক্রান্ত কাজে রংপুর যেতে হয়।সরকারি গণগ্রন্থাগার: ১৯৮২ সালে গাইবান্ধা শহরের কলেজ রোডে স্থাপিত সরকারি গণগ্রন্থাগারে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক পাঠক বইপুস্তক ও বিভিন্ন পত্রিকা পড়েন। কিন্তু লোকবল মাত্র দুজন। লাইব্রেরি সহকারী উত্তম কুমার বলেন, এখানে লাইব্রেরিয়ান পদ সৃষ্টি করা হলেও লোক নিয়োগ হয়নি। এ কারণে রংপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রধান লাইব্রেরিয়ানের কাছ থেকে বেতন-ভাতাসহ পত্রিকা ক্রয়ের বিল পাস করে আনতে হয়।দুর্নীতি দমন কমিশন: গাইবান্ধা শহরের পূর্বপাড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দপ্তর ছিল। এখানে কমিশনের একজন সহকারী পরিচালক দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু চার বছর আগে দপ্তরটি রংপুরে গুটিয়ে নেওয়া হয়। ফলে কোনো অভিযোগ দায়ের করতে গেলে রংপুর দুদক কার্যালয়ের মাধ্যমে করতে হচ্ছে।স্বাস্থ্য প্রকৌশল: জেলার একটি হাসপাতাল, ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৮২টি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রায় ৩৬০টি ভবন সংস্কারের দায়িত্ব স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এ জন্য ২০০০ সালে গাইবান্ধায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীর দপ্তর স্থাপিত হয়। কিন্তু এখানে লোকবল বলতে একজন অফিস সহকারী। তবে রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলীকে এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি মাঝেমধ্যে রংপুর থেকে এসে সংস্কারকাজের তদারকি করছেন। গাইবান্ধা শহরের ঠিকাদার মুনছুর রহমান বলেন, গাইবান্ধায় কাজ করছি, কিন্তু কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিতে রংপুর যেতে হচ্ছে।শিক্ষা প্রকৌশল: জেলায় সহস্রাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার আবাসিক-অনাবাসিক প্রায় দেড় হাজার ভবন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের। গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের দপ্তরে একজন সহকারী প্রকৌশলী ও একজন অফিস সহকারী রয়েছেন। কিন্তু কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে। গাইবান্ধার সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল বারী বলেন, বর্তমানে জেলায় ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। অনেক সময় তদারকি ফেলেই প্রশাসনিক কাজে রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে যেতে হয়।একই অবস্থা সামাজিক বন বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন এবং ঔষধ প্রশাসন দপ্তরেরও৷ | 72,151 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০৩ | ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০৫ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | রায়েরবাজার স্টাফ কোয়ার্টারে নোংরা পরিবেশ, নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1057155 | প্রবেশদ্বারগুলো অরক্ষিত। লোকজন ইচ্ছেমতো আসছে-যাচ্ছে। চারদিক আবর্জনায় সয়লাব। ভবনগুলোর সংস্কারও হচ্ছে না। বর্ষায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ধানমন্ডি ৮/এ (পুরোনো ১৫) রায়েরবাজার স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দারা এর মধ্যেই দিন পার করছেন। বাসিন্দারা বলছেন, কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও এসব সমাধান হচ্ছে না।রায়েরবাজার স্টাফ কোয়ার্টারে ১০টি ভবনে ১৫৮টি পরিবার থাকে। সরকারি এই আবাসনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী বাস করেন। বাসাগুলো ছোট দুই কক্ষের। এর মধ্যে কিছু বাসার কক্ষ একটু বড়। কেউ কেউ আবার তাঁদের বাসায় সাবলেট দিয়েছেন। গতকাল রোববার দেখা যায়, এই আবাসন এলাকার সবগুলো গেট খোলা। নিরাপত্তার কোনো ব৵বস্থা নেই। ৯ নম্বর ভবনের সামনের গেট দিয়ে একজন ঢুকলেন। গেটের পাশে কিছুটা ঝোপের মতো জায়গায় তিনি প্রাকৃতিক কাজ সারলেন। সড়কের মাথায় দাঁড়িয়ে দেখছিলেন এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘এগুলা করার জায়গা হচ্ছে এই কোয়ার্টার। ভেতরের মানুষ তো ময়লা করেই। বাইরের মানুষও যা খুশি করে।’প্রতিটি ভবনের সামনে-পেছনে আবর্জনার স্তূপ। বাসিন্দারা বলেন, বাইরের সবজিওয়ালারাও ভেতরে এসে আবর্জনা ফেলে যান। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। বিকল্প হিসেবে অনেক আবর্জনা জমলে মাঝেমধ্যে পোড়ানো হয়। গেটগুলো কখনো লাগানো হয় না। নিরাপত্তা বলতে রাতে ভবনগুলোর কলাপসিবল গেট তালা দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও প্রায়ই চুরি হয়। বাইরের ছেলেপেলে এসে খোলা জায়গায় খেলাধুলা করে। ঝামেলার ভয়ে কেউ কিছু বলে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ভবনগুলো নিয়মিত রং করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না অনেক দিন। তাঁর নিজের বাসার জানালা ভাঙা। বলা হলেও ঠিক করার জন্য কেউ আসেনি। বৃষ্টিতে ছাদ দিয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। বর্ষায় সামনের সড়কসহ ভেতরেও পানিতে তলিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘বিল্ডিংগুলো রাস্তা থেকে অনেক নিচু। বৃষ্টি হইলে কেচি গেটের ভেতরে হাঁটুপানি জমে। বাচ্চাদের তখন কোলে তুলে পার করি।’ এই কোয়ার্টারের একটি সরকারি কর্মচারী কল্যাণ কেন্দ্র আছে। কেন্দ্রকে সমস্যার কথা জানানো সম্পর্কে বলেন, ‘তারা তো শুধু ভোটের সময়েই এটা হবে, ওটা হবে বলে। পদ পাওয়ার পরে অবস্থ যা ছিল তা-ই থাকে।’ কোয়ার্টারের ভেতরেই রিকশা-ভ্যানের গ্যারেজ। এ ছাড়া ভাঙা একটি লেগুনা পড়ে আছে। সরকারি কর্মচারী কল্যাণ কেন্দ্রের দেখভালকারী আলম খান বলেন, গ্যারেজটি ব্যক্তিমালিকানাধীন। কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত শুরু থেকেই এখানে থাকেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে বলেন, অবস্থানগত কারণে এখানে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। | 282,186 |
আনোয়ারা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:১৭ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:১৭ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | আনোয়ারার তৈলারদ্বীপে মসজিদ উদ্বোধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/739009 | আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ গ্রামের ফকিরের চর এলাকায় নতুন মসজিদ স্থাপন ও কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক ৯ জানুয়ারি দুপুরে মসজিদ ও কবরস্থান উদ্বোধন করেন।নবনির্মিত মসজিদের নামকরণ করা হয় মসজিদ-এ-তৈয়বীয়া করিমিয়া। মসজিদ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শফিউল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ। | 192,382 |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০৬ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০৬ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা | 0 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকের চাপায় নিহত ১, আহত ২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/747532 | ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ট্রাকের চাপায় শাহীনুর বেগম (৪৫) নামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক নারী যাত্রী নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের গজারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।শাহীনুর নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের স্ত্রী। আহত দুজন হলেন একই গ্রামের শাহীন মিয়া ও আবুল কালাম। তাঁদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। | 194,936 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ মে ২০১৫, ০২:০৬ | ১১ মে ২০১৫, ০২:০৭ | খবর | 0 | ১৩৮৩টি স্কুলে আই-জেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/524677 | দেশব্যাপী গ্রামীণফোন-প্রথম আলো আই-জেন ২০১৫-এর স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতা গতকাল রোববার ১১৮টি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আই-জেন কার্যক্রমের স্কুল পর্যায়ের এই আয়োজন মোট ৬৪ জেলার মোট ১৩৮৩টি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার ৫৬ জেলার মোট ৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা ও আগ্রহ তৈরির প্রয়াসে আয়োজন করা হয়েছে এ প্রতিযোগিতা। গত ২৫ এপ্রিল এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। দেশের সবকটি জেলার দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ প্রতিযোগিতা চলবে। এ আয়োজনের সহযোগী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।আই-জেনে প্রতিটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের মূলত দুটি অংশ আছে। এতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের ব্যবহারের মৌলিক কিছু নিয়মকানুন হাতে কলমে শিখতে পারছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটকে কীভাবে পড়াশোনা ও জ্ঞানার্জনে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে, সে বিষয়ে কর্মশালা পরিচালনা করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি জ্ঞান নিয়ে আই-জেন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করছে অ্যালপেনলিবে, মাইক্রোসফট, ওপেরা মিনি, এখানেই ডট কম, রেক্সোনা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ফার্ষ্ট সিকিউরিটি ইসলামিক ব্যাংক, উরি ব্যাংক, রেডিও ফুর্তি ও চ্যানেল আই। | 138,024 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জুলাই ২০১৩, ০২:৩১ | ১৫ জুলাই ২০১৩, ০২:৩২ | চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা | 0 | অন্যের জাহাজে পণ্য পরিবহনে বাধ্যবাধকতা জারি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/24324 | নিজের জাহাজ থাকার পরও অন্যের জাহাজে পণ্য পরিবহনে বাধ্যবাধকতা রেখে প্রণীত নীতিমালা জারি করেছে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর। গত সপ্তাহে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর জোবায়ের আহমদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নীতিমালা জারি করেন।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৮ জুলাই থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হয়েছে। নীতিমালার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরে অধিভুক্ত লাইটার জাহাজযোগে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরসমূহে পণ্য পরিবহন নীতিমালা, ২০১৩’।প্রকাশিত নীতিমালার ৫(৯) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জাহাজ আছে, তাদের আমদানি করা পণ্যের ৫০ শতাংশ পরিবহন করতে হবে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল নিয়ন্ত্রিত জাহাজে। এই সেল থেকে জাহাজ ভাড়া নিলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জে প্রতি টন পণ্যে খরচ হয় ৫০৩ টাকা। একই পথে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জাহাজে পণ্য পরিবহনে খরচ হয় ২৫০ টাকা। অর্থাৎ নীতিমালার কারণে টনপ্রতি পণ্য পরিবহনে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বাড়তি ২৫৩ টাকা খরচ হবে জানা গেছে। যেসব শিল্প গ্রুপের নিজস্ব জাহাজ আছে, তারাই শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সিংহভাগ আমদানি করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এ কারণে এই নীতিমালার কারণে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকেরা।প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই নীতিমালা প্রতিযোগিতা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একটি গোষ্ঠীকে ব্যবসায়িক সুবিধা দিতে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বাণিজ্যিকভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবহন খরচ বাড়ায় ভোগ্যপণ্যসহ শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে।’ তবে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর জোবায়ের আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল যাতে নৌ খাতকে জিম্মি না করতে পারে, সে জন্য একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হবে। | 2,583 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ৩১ মে ২০১৮, ১৮:০৪ | ৩১ মে ২০১৮, ১৮:০৭ | -1 | 0 | বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শিশু চরম ঝুঁকিতে | http://www.prothom-alo.com/international/article/1500186 | বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শিশু চরম দারিদ্র্য, যুদ্ধ অথবা লিঙ্গবৈষম্যের কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।১ জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ বিষয়গুলো কীভাবে শিশুদের কাছ থেকে তাদের শৈশব ছিনিয়ে নিচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে।সংস্থাটি দেখেছে, ১০০ কোটির বেশি শিশু দারিদ্র্যকবলিত দেশে বাস করে, ২৪ কোটি শিশু যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৫৭ কোটি ৫০ লাখ মেয়েশিশু লিঙ্গবৈষম্যের শিকার।দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তানসহ প্রায় ২০টি দেশে ১৫ কোটি ৩০ লাখ শিশু এই তিন ধরনের ঝুঁকিতে আছে।সেভ দ্য চিলড্রেনের সিইও ক্যারোলিন মাইলস বলেন, ‘আমরা অনেক দেশে কিছুটা অগ্রগতি দেখছি। এই দেশগুলোতে বাল্যবিবাহ, শিক্ষাবঞ্চিত ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলোর উন্নতি ঘটেছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য এটা দ্রুত ঘটছে না।’প্রতিবেদনটিতে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম ঝুঁকির ১৭৫টি দেশের সূচক দেখানো হয়েছে।কম ঝুঁকির দেশের তালিকায় যৌথভাবে প্রথম সিঙ্গাপুর ও স্লোভেনিয়া প্রথমে রয়েছে। এ ছাড়া প্রথম পাঁচটি দেশের অন্য তিনটি হলো নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড। আর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি দেশের আটটি দেশই পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার। যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ৩৬তম অবস্থানে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ শিশুদের শিক্ষা, সুরক্ষা, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মাইলস তা পূরণ করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। | 365,679 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জুন ২০১৬, ০১:০৪ | ২৬ জুন ২০১৬, ০১:০৪ | খবর,আইন ও বিচার | 0 | মান্না কাশিমপুর কারাগারে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/899320 | নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নাগরিক ঐক্য ও মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁকে বারডেম হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি যেসব রোগে ভুগছেন, তাতে জেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।তবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানিয়েছে, পুরান ঢাকা থেকে জেলখানা কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ জন্য তাঁকে কাশিমপুর কারাগার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ মো. নেছার আলম প্রথম আলোকে বলেন, কাশিমপুর যাওয়ার ক্ষেত্রে ওনার বা পরিবারের আপত্তি ছিল না।গত শুক্রবার মান্নার সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্ত্রী মেহের নিগার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁকে কাশিমপুরে পাঠানোর জন্য আপত্তি করিনি। কারণ কাশিমপুর কারাগারের হাসপাতালে থাকলে তিনি চিকিৎসা পাবেন বলে মনে করছি।’ তবে তিনি বলেন, ‘ওনার যে ধরনের রোগ, তাতে পরিবেশ না পেলে এবং মানসিক স্বস্তি না এলে উনি সুস্থ হবেন না।’মেহের নিগার আরও জানান, আগে থেকেই ওনার হৃদ্রোগ ছিল, যা বেড়েছে। এ ছাড়া কিডনির সমস্যা ধরা পড়েছে। এর বাইরে আরও বেশ কিছু শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। বারডেমে এসব চিকিৎসা পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন না তিনি।এর আগে মান্নাকে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। | 235,836 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ মার্চ ২০১৬, ০১:২৪ | ০১ মার্চ ২০১৬, ০১:২৫ | বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/784846 | ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল হক হত্যা মামলার একজন আসামি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় গতকাল সোমবারও অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি। ১৫ মার্চ অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ও ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারাগারে থাকা সব আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় শুনানি হয়নি।আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল মামলার ধার্য তারিখে ফেনী ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা আসামিদের জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ান মো. সফিউল্লাহর আদালতে হাজির করা হয়।ফেনী জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মদ বলেন, ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা একরাম হত্যা মামলার আসামি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরী অসুস্থ হয়ে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়নি। কারাগারে থাকা সব আসামিকে হাজির না করায় মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি। ১৫ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফেনী কারাগারে থাকা ৩১ জন ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আসামিদের আবারও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছরের ২৮ আগস্ট ৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার ৪২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় একরামুল হককে কুপিয়ে, গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। | 206,599 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:১৪ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৪৮ | রাজধানী (জাতীয়) | null | যানজটে নাকাল ঢাকাবাসী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1052583 | রাজধানী ঢাকায় আজ বুধবার সকাল থেকে যানজটে নাকাল নগরবাসী। ফার্মগেট, শাহবাগ, সেগুনবাগিচা, বিজয় সরণি, মহাখালী, উত্তরাসহ নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় যানজট। শাহবাগের দিকে চাপটা বেশি।সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের আগের দিনে আজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীদের। দীর্ঘ সময় জটে আটকে থাকায় অনেক যাত্রীকে গাড়িতেই ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ঘণ্টা খানের পথ যেতে কারও কারও দুই থেকে আড়াই ঘণ্টাও সময় লেগেছে। একই স্থানে গাড়ি আটকে থাকায় অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন। যানজটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন নারী ও শিশুরা।বেলা দুইটার দিকে যানজটের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে প্রথম আলোকে জানানো হয়, করুণ অবস্থা। প্রায় সব জায়গায় যানজট। বিভিন্ন কলেজ থেকে র্যালি বের হওয়ায় এমন অবস্থা হতে পারে। কোন এলাকায় চাপ বেশি, তা জানতে চাইলে তারা বলে, রাজধানীর শাহবাগে চাপটা বেশি।ট্রাফিক পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, র্যালির কারণে যানজটে ফার্মগেট এলাকা পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। ফলে ঢাকার ভেতরে গাড়ি ঢুকতে পারছে না। তবে কার বা কোন সংগঠনের র্যালি, তা তাঁরা বলেননি।আজ ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়িতে করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে দেখা গেছে।রাজধানীর বাংলামোটরে আবদুল কাইয়ুম নামের এক ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাফিক বিভাগের উচিত বড় বড় রাজনৈতিক দলের মিছিল, র্যালি ও সমাবেশের আগে কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে নগরবাসীকে জানানো। তাহলে সবাই সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে পারবেন। এভাবে কষ্টের কোনো মানে হয় না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে ট্রাফিক বিভাগের কাজ কী? | 279,976 |
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুলাই ২০১৫, ০২:২৮ | ২৮ জুলাই ২০১৫, ০২:৩০ | সরাইল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বিশাল বাংলা | 0 | অনুপস্থিত থাকায় সাত চিকিৎসককে নোটিশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/586927 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সাতজন চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় গত রোববার তাঁদের ওই নোটিশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসিনা আখতার বেগম।দন্ত বিশেষজ্ঞ নাফিজা আলম, চিকিৎসা কর্মকর্তা মোবাশ্বের সামিয়া হক, রেজাউল করীম, সৈয়দ তাসরিন আহমেদ, সৈয়দা আমেনা খায়ের, এইচ এম মশিউর রহমান ও মহিউদ্দিন হাসানকে ওই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।গত শনিবার ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩৪ চিকিৎসকের মধ্যে ছয়জন উপস্থিত হয়েছেন। নির্দিষ্ট সময় (সকাল আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা) পর্যন্ত অনুপস্থিত ছিলেন নয়জন। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানানো হয়, বর্তমানে ১০ জন চিকিৎসক ঢাকায় প্রশিক্ষণে, তিনজন বিশেষজ্ঞ প্রেষণে জেলা সদরে হাসপাতালে আছেন। এ সময় অন্য চিকিৎসকেরা কোথায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসিনা আখতার বেগম বলেছিলেন, পাঁচজনের উপজেলার বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকার কথা। একজন আছেন ছুটিতে। আর আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. নোমান মিয়াসহ বাকিরা মৌখিক ছুটিতে রয়েছেন। এ নিয়ে গত রোববার স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর গত রোববার বিকেলে অনুপস্থিত নয়জনের মধ্যে সাতজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন হাসিনা আখতার বেগম।ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কার্যালয় সময় সকাল আটটা মানছেন না কেউই। অধিকাংশ চিকিৎসক আসেন সকাল নয়টার পর।হাসিনা আখতার বেগম বলেন, ‘ওই সাতজনকে পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর যে দুজনকে নোটিশ করা হয়নি তাঁরা আমার কাছে বলেই অনুপস্থিত ছিলেন।’ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন হাসিনা আক্তার গতকাল সোমবার মুঠোফোনে বলেন, নোটিশের জবাব পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 155,481 |
সজল চৌধুরী | opinion | মতামত | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৯ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫০ | সজল চৌধুরী,মতামত | null | শহরটিকে তো বাঁচাতে হবে! | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1059577 | ‘যানজটের যন্ত্রণা আর আবর্জনার মাছি, ধুলাবালির এই শহরে, আমরা ত ন বাঁচি’—এই মন্তব্যটি সম্প্রতি চট্টগ্রাম-প্রবাসী আমার অগ্রজ এক স্থপতি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের পরিবেশ গবেষণাগারে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু গবেষণা চালানো হচ্ছে, যার মাধ্যমে শহরের শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, সূর্যালোকের ব্যবহার এবং স্থাপনায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার রূপরেখার কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, যেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা না থাকলে অতি শিগগিরই এই শহর বর্তমান ঢাকা শহর থেকেও আরও বেশি ভয়াবহ হবে।শহরের বর্তমান অবস্থা এমনই ভয়াবহ যে, মাত্র ২৫ কিলোমিটার (শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত) যাওয়া-আসার জন্য সবাইকে দিনের প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় গর্তযুক্ত ধুলোবালিতে পরিপূর্ণ এবড়োখেবড়ো রাস্তায় ব্যয় করতে হয়। এমনকি শহরের আগ্রাবাদ থেকে জিইসি দুই নম্বর গেট পর্যন্ত আসতেও প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায় বেশির ভাগ সময়। আর পুরো রাস্তাতেই লেগে আছে চলমান উড়ালসড়কের লাগাতার কাজ। বছরের পর বছর ধরে এই কাজ চলছে এবং হরহামেশাই নির্মাণসামগ্রী অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।রাস্তার পাশে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে এমন কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, যেগুলো ধোঁয়া কিংবা কার্বন উৎপন্ন করছে। ডিজাইনিং ঢাকা গ্রন্থের স্থপতি ও গবেষক কাজী খালেদ আশরাফ লিখেছেন, ‘একটি শহরের উন্নতি হয় যখন এর সম্পদের মূল্যায়ন করা হয়।’ সেদিক থেকে বিবেচনা করলে চট্টগ্রামের অপার সম্পদের কথা বোধ হয় সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সরকার পর্যন্ত আমরা কেউই সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারিনি অথবা চাইনি, আর হয়তো–বা সে কারণেই দিনের পর দিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছি এই সবুজ শহরকে। আর এমনটি ঘটছে অর্থনৈতিক চাপ, গৎবাঁধা সেকেলে নির্মাণ রীতিনীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, অব্যবস্থাপনা, সংকীর্ণ মনমানসিকতা এবং তদুপরি ইচ্ছার অভাবে।সবুজের সমারোহ, পাহাড় ঢাকা আর কর্ণফুলীর চট্টগ্রাম শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা দিন দিন অত্যধিক পরিমাণে বেড়েই চেলছে এবং আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এই দূষণের মাত্রা স্বাভাবিক দূষণের মাত্রা থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। ফিটনেসবিহীন ও ২৫ বছরের পুরোনো অসংখ্য যানবাহন, যত্রতত্র রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা অপরিকল্পিত কলকারখানা থেকে নির্গত হওয়া কালো ধোঁয়া, অতি দ্রুত বাড়তে থাকা আবাসন ও নির্মাণশিল্পের আগ্রাসন, বিভিন্ন উন্নয়নকাজের জন্য যেখানে-সেখানে রাস্তায় গর্ত আর খননকাজ (যা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য বছরের পর বছর চলতে থাকে)—এগুলোই হয়ে উঠেছে শহরের পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রধান কারণ।এই দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একসঙ্গে বেড়ে চলছে পানি ও শব্দদূষণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, এই দূষণের মাত্রা যথেষ্ট উচ্চ পর্যায়ে ও শহরের নাগরিকদের জন্য অতি বিপজ্জনক। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো অতিরিক্ত ধুলোবালির কারণে বিবর্ণ হয়ে অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা খুব সকালেও নাকে-মুখে রুমাল চেপে পথ চলছে, রাস্তাঘাটে সুস্থভাবে একটুকু নিশ্বাস নেওয়ার তিল পরিমাণ ফাঁকা জায়গার অস্তিত্ব দিন দিন কমে যাচ্ছে এই শহরটিতে, কি শীত কি গ্রীষ্মে!বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে শুধু বায়ুদূষণের কারণে। সরেজমিনে এমনও দেখা গেছে, শহরের আবাসনগুলোতে আমরা স্থপতিরা যতই প্রাকৃতিক আলো-বাতাস প্রবেশ ও চলাচলের কথা বলি না কেন, অতিরিক্ত ধুলোবালি ও শব্দের কারণে সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ৭০-৭৮ শতাংশ শহুরে নাগরিক, বিশেষ করে রাস্তার ধারের বাসিন্দারা তাদের ঘরের দরজা-জানালা দিনের প্রায় সব সময় বন্ধ রাখে, যেন ধুলোবালি ভেতরে ঢুকতে না পারে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অতিরিক্ত ধুলোবালির কারণে পরিচ্ছন্নতার জন্য মাসিক ব্যয় বেড়ে যায় প্রায় এক-চতুর্থাংশ, অনেক সময় যা তাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যায়।অন্যদিকে ১৯৯৫ সালে প্রণীত চট্টগ্রামের মাস্টারপ্ল্যানের মেয়াদ ২০১৫ সালেই শেষ হয়ে গেছে। আর সেই উন্নয়নের প্ল্যান চাপা পড়ে গেছে চকচকে পৃষ্ঠার মধ্যেই। আলোর মুখ আর দেখা হয়নি, যার সুফল নাগরিকদের অদেখাই থেকে গেল। যেখানে শহরকে টেকসইভাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা ছিল।শহরের দূষণ নিয়ে কথা হয় স্থাপত্যের গবেষক এবং উদ্ভাবক অধ্যাপক ডা. ফ্রান্সেসকো ফিয়োরিতোর সঙ্গে। তাঁর মতে, আমরা এসব দূষিত শহরের স্থাপনার জন্য বিশেষ কিছু পরিবেশ সহনশীল বাইরের পর্দা (আচ্ছাদন) ব্যবহার করতে পারি, যা বাইরের ধুলোবালিকে পরিশোধন করে ভেতরে প্রবেশ করাবে, অর্থাৎ পর্দাটি একটি ছাঁকনির মতো কাজ করবে, যদিও এমন চিন্তায় পৌঁছাতে আমাদের এখনো বেশ কিছু সময় এবং গবেষণার প্রয়োজন।এই মুহূর্তে শহরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ‘আরবান টাইমস’ ছয়টি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছে, যেগুলো বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষেও সম্ভব। যেগুলোর মধ্যে শহরকেন্দ্রিক হাঁটাচলা এবং সাইকেল রাস্তা, শহরকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও হাঁটাকে উৎসাহ প্রদান, শহরকেন্দ্রিক চাষাবাদ, নির্মাণ কার্যক্রমের আধুনিকায়ন, পাবলিক পার্ক নির্মাণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।ঢাকায় সবুজ পার্ক রক্ষার্থে যেভাবে ‘জল সবুজের ঢাকা’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, চট্টগ্রামেও সেটির কার্যক্রম সময় থাকতেই শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে জনগণকে যেকোনো প্রকারে উদ্বুদ্ধ ও নিয়োজিত করতে হবে নিজের শহরকে বিশুদ্ধ রাখার জন্য। কারণ, ঢাকাকে আমরা প্রায় জীবন-মৃত্যুর শেষ প্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি, হাতে গোনা যা কিছু গর্বের আছে আমাদের, চট্টগ্রাম তার অন্যতম, একেও কি আমরা এভাবে শেষ হতে দিতে পারি?সজল চৌধুরী: সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।sajal_c@yahoo.com | 283,651 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ মার্চ ২০১৭, ০২:২৪ | ২২ মার্চ ২০১৭, ০২:২৫ | আইন ও বিচার,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | পাকিস্তানি সাবেক সেনার বিরুদ্ধে ৩ অভিযোগ চূড়ান্ত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1116055 | একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক এক সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার তথ্য জানানো হয়।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক ওই সদস্যের নাম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (৭৫)। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোলাপের চর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। তদন্ত করেন জেড এম আলতাফুর রহমান। গত বছর ২ আগস্ট শহীদুল্লাহকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। নিজেকে তিনি ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে তাঁর নিজ জেলা কুমিল্লায় আসেন। পরে পশ্চিম পাকিস্তানে আর ফিরে না গিয়ে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কুমিল্লায় ক্যাম্প স্থাপন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের নির্যাতন, হত্যাসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত হন।তিন অভিযোগশহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে যে তিনটি অভিযোগের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো ১৯৭১ সালের ৭ জুন দাউদকান্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিকিৎসক হাবিবুর রহমানকে আটক করেন। পরে হাবিবুর রহমানকে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেন এবং লাশ গোমতী নদীতে ফেলে দেন।১৯৭১ সালের ১৬ জুন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৪০-৫০ জন সদস্য নিয়ে দাউদকান্দির উত্তর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি ও গোলাপের চর গ্রামে হামলা চালিয়ে ২০ জনকে আটকে নির্যাতন চালান। পাঁচ বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করেন। পরে ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনকে ছেড়ে দেন এবং একজনকে শহীদুল্লাহ নিজে গুলি করে হত্যা করে লাশ গোমতী নদীতে ফেলে দেন।১৯৭১ সালের ২১ জুলাই শহীদুল্লাহ হানাদার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে দাউদকান্দি বাজারে হামলা চালান। সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কালা মিয়াকে আটক করেন এবং তানজিনা হাসপাতালের পেছনে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে লাশ সেখানকার একটি খালে ফেলে দেন। | 305,229 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১১ নভেম্বর ২০১৮, ২৩:১০ | ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:১৮ | ফুটবল,মেসি,বার্সেলোনা | null | ফিরেই হারলেন মেসি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1564845 | ১০ বছর পর বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল বেতিসন্যু ক্যাম্পে বেতিসের সর্বশেষ জয় ছিল ১৯৯৮ সালের মে মাসেএ ম্যাচ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ থাকার কথা ছিল না। ন্যু ক্যাম্পে খেলতে আসছে রিয়াল বেতিস। লা লিগায় ১৫তম অবস্থানের দল, তার ওপর বার্সেলোনার ঘরে এসে কখনোই ভালো খেলে না তারা। বরং আগ্রহ ছিল লিওনেল মেসিকে নিয়ে। চোট কাটিয়ে অনেক দিন পর ফিরেছেন মেসি। প্রিয় প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়ে মেসি কী করেন, আগ্রহ ছিলই। মেসি নেমেছেন, খেলেছেন পুরো ৯০ মিনিট, দুটি গোলও পেয়েছেন। কিন্তু এতেও বার্সেলোনার সর্বনাশ এড়াতে পারেননি। বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে রিয়াল বেতিস।ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে একটু আশা জাগিয়েছিলেন মেসি। আর্তুরো ভিদাল নিজে শট না নিয়ে মেসিকে দিয়ে গোল করাতে গিয়ে প্রথমে অফসাইডে বাতিল হয়েছিল সে গোল। পরে ভিএআর নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনার ম্যাচে ফেরার আশা তখনো আছে। কিন্তু শেষ দুই মিনিটে আর কোনো অবিশ্বাস্য কিছু ঘটেনি। ফলে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পরের হোম ম্যাচেই লিগে হেরে বসল বার্সেলোনা।এর পেছনে ভাগ্যকে দায় দিতে পারে বার্সেলোনা। ম্যাচের স্কোর ৩-২ অবস্থায় ইভান রাকিটিচ লাল কার্ড না দেখলে হয়তো ম্যাচে ফিরে আসতে পারত বার্সেলোনা। কিংবা ২-১ অবস্থাতেও মার্ক টের স্টেগেন হাস্যকরভাবে গোল না খেলেও এমন অবস্থায় হয়তো পড়তে হতো না। কিন্তু সত্য হলো, যোগ্য দল হিসেবেই জয় পেয়েছে বেতিস। আরনেস্তো ভালভার্দেকে ট্যাকটিকসে বোকা বানিয়েছেন এনরিকে সেতিয়েন।বার্সেলোনার ৪-৩-৩ ফরমেশনের বিপরীতে ৩-৫-২ ফরমেশন নামিয়ে মিডফিল্ডে সব সময় দুজন বাড়তি খেলোয়াড় রেখেছেন সেতিয়েন। ফলে বার্সার রক্ষণকে সব সময় ৫ থেকে ৬ জন বেতিস খেলোয়াড় ব্যস্ত রেখেছেন। সে চাপেই প্রথমার্ধে অন্তত ৪ গোল খেতে পারত বার্সা। একবার হোয়াকিন জায়গা মতো বল রাখতে পারেননি। অন্যবার বার্সারই ঘরের ছেলে তেয়োর শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন স্টেগেন। কিন্তু বাকি দুবার কিছুই করতে পারেননি স্টেগেন। ১৯ মিনিটে কারভালহোর এক ডিফেন্সচেরা পাসে বার্সা রক্ষণ খালি হয়ে যায়। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক শটে ক্যাম্প ন্যুকে স্তব্ধ করে দেন জুনিয়র ফিরপো। ৩৩ মিনিটে ফিরপোরই আরেকটি ক্রস থেকে তেয়োর পাস খুঁজে পায় হোয়াকিনকে। বার্সা রক্ষণ ও মিডফিল্ডের মাঝে বিশাল ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা হোয়াকিন ঠান্ডা মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ৩ মিনিট পরে লো চেলসোর এক শট হাস্যকরভাবে গ্লাভসের মধ্য দিয়ে যেতে দেন স্টেগেন। ৭৫ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ভিদাল। ম্যাচ জমে ওঠার অপেক্ষা কেবল কিন্তু ৮০ মিনিটে আবারও কপাল পুড়ল বার্সার। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রাকিটিচ। ৮২ মিনিটে সার্জিও কানালেস ৪-২ করে দেওয়ার পর আশা হারিয়ে ফেলে ন্যু ক্যাম্প। ৯২ মিনিটে মেসির গোলে আশা জেগেছিল বটে কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। | 382,044 |
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ মে ২০১৪, ০২:১২ | ০১ মে ২০১৪, ০২:১৪ | টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | ‘হোটেলশ্রমিকের’ বিশাল ভোজসভা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/205990 | নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করেছেন পেশায় হোটেলশ্রমিক। এ পেশা থেকে বার্ষিক আয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া কৃষি খাত থেকে বছরে আয় সাত হাজার টাকা। ওই ‘আয়ের’ টাকায় ২০টি গরু ও ৫০টি খাসি দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবসে ৩০ হাজার মানুষকে খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।ব্যক্তিটি হলেন টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্বাস আলী। ভোজসভার শিরোনাম দিয়েছেন ‘টিউবওয়েল মার্কার মিলনমেলা’। আব্বাস আলীর নির্বাচনী প্রতীক ছিল টিউবওয়েল। তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ওই ভোজসভার আয়োজন করেছেন বলে সমর্থকেরা জানিয়েছেন।এদিকে হলফনামা অনুযায়ী যাঁর মাসিক আয় প্রায় সাড়ে ১০ হাজার টাকা। অথচ তিনি কীভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচের ভোজসভার আয়োজন করছেন, তা নিয়ে দলের ভেতরেই প্রশ্ন উঠেছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এ আয়োজনের জন্য আব্বাস আলী ও তাঁর সমর্থকেরা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়েছেন। অনেকে চাঁদা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চাননি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানান, শুধু টাকা নয় বিভিন্নজনের কাছ থেকে গরু, ছাগলও অনুদান হিসেবে নেওয়া হয়েছে।গতকাল সকালে শহরের নিরালা মোড়ে জেলা শ্রমিক লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে দেখা যায়, ১৫টি গরু বাঁধা। আরও গরু আনতে হাটে লোক গেছেন বলে জানালেন আব্বাসের লোকজন। মাহমুদুল হাসান কলেজে গিয়ে চোখে পড়ে মাঠজুড়ে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ। কাজ তদারকের দায়িত্বে থাকা লালমিয়া নামের একজন জানান, প্যান্ডেলের ভেতর একসঙ্গে তিন হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই ভোজসভার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ রঙিন আমন্ত্রণপত্র বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় ‘মিলনমেলার’ উদ্বোধন করবেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সাহিদুর রহমান খান।প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মেয়রের বড় ভাই ও টাঙ্গাইল-৩ আসনে আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান। প্রধান বক্তা থাকবেন টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করার কথা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হকের। মিলনমেলা উপলক্ষে সন্ধ্যায় শহরের প্রধান শহীদ মিনারে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।ভোজসভার ব্যাপারে আব্বাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে ঢাকায় গেছেন বলে জানা যায়। তাঁর মুঠোফোনে দুপুর, বিকেল ও রাতে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জাতীয় শ্রমিক লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি আবদুল লতিফ জানান, এটা তাঁদের দলীয় আয়োজন নয়। এটা আব্বাস আলীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। | 69,990 |
ইনচন থেকে প্রতিনিধি | sports | খেলা | ০২ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৪০ | ০২ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৪১ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,খেলা | 0 | বাবা-ছেলের দল | http://www.prothom-alo.com/sports/article/335869 | বাবার বয়স ৫৮, ছেলের ২৩। কিন্তু একটা জায়গায় দুজনই সমান। দুজনই কুয়েত জাতীয় দলের খেলোয়াড়। বাবা বাসতাকি মাহমুদ দলটার অধিনায়ক, আর ছেলে বাসতাকি ফাহাদ সহ-অধিনায়ক। এশিয়ান গেমসের কুয়েত ক্রিকেট দলটা বাপ-বেটারই দল।একই সঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা বাবা-ছেলে দুজনের জন্যই রোমাঞ্চকর। এ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাবা ধন্যবাদ জানালেন কুয়েত ক্রিকেট বোর্ডকে, ‘কুয়েত দলের প্রতিনিধিত্ব¦করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি কুয়েত বোর্ডকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ছেলের সঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পেরে আমি আনন্দিত।’কাল ইওনহি ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ দলের ৯ উইকেট ফেলায় এই বাপ-বেটার আছে বিশাল ভূমিকা। বাবা মাহমুদ ৪৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর ছেলে ফাহাদ ৩ উইকেট নিয়েছেন ৪৮ রানে। এর মধ্যে ফাহাদের বলে শর্ট মিড উইকেটে দেওয়া তামিমের ক্যাচটা আবার ধরেছেন বাবা মাহমুদ। ছেলে ফাহাদ বলেছেন, এটা তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে, ‘এই স্মৃতি আমি সারা জীবনেও ভুলব না। দলের হয়ে প্রথম উইকেটটা নিলাম আমি, আর ক্যাচটা নিলেন আমার বাবা। এটা আসলেই বিশেষ কিছু।’বাবা বাসতাকি মাহমুদ ক্রিকেট খেলা শুরু করেন মাত্র ১০ বছর থেকে। ক্রিকেট খেলেছেন ভারতে পড়াশোনার সময়ও। এখনো খেলাটা খেলে যাচ্ছেন সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য। পেশায় ব্যাংকার মাহমুদ বলছিলেন, ‘এখনো আমি যথেষ্ট ফিট এবং ক্রিকেট খেলাটাও চালিয়ে যেতে চাই।’জন্মের পর থেকে বাবাকে ক্রিকেট খেলতে দেখেছেন। নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখেন টেলিভিশনেও। শুরুতে টেনিস খেললেও ছেলে ফাহাদ তাই আস্তে আস্তে ঝুঁকে পড়েন ক্রিকেটের দিকে। বাবা আর বড় ভাইকে দেখে বাসতাকি মাহমুদের ছোট ছেলেও এখন টেপ টেনিসে ক্রিকেট খেলে। কাজেই এই ক্রিকেটার পরিবারের হাতে কুয়েতের ক্রিকেটটা হয়তো আগামী বেশ কয়েক বছরই থাকবে। ফাহাদেরও তাই আশা। তবে সঙ্গে বলেছেন, ‘কারা দল চালাবে সেটা কোনো ব্যাপার নয়। আমি কুয়েতের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব, এটাই হলো কথা।’এশিয়ান গেমসে এসে বাংলাদেশের মতো একটা টেস্ট দলের বিপক্ষেÿখেলতে পেরে দারুণ খুশি ফাহাদ। তাঁর কাছে ব্যাপারটা স্বপ্নপূরণের মতোই, ‘এই খেলোয়াড়দের খেলা আমি টেলিভিশনে দেখেছি। সরাসরি তাদের দেখছি এই প্রথম এবং তাদের উইকেট নিচ্ছি...এটা আমার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই একটা ব্যাপার। উইকেটকিপার হিসেবে সাকিবের ক্যাচ নিতে পারাটা আমার জন্য বিশেষ কিছুই।’ফাহাদ আসলে সাকিবের বড় এক ভক্ত। কাল ম্যাচ খেললেও সাকিব এবং বাংলাদেশ দলের অন্যান্য ক্রিকেটারের সঙ্গে গেমস ভিলেজে আরও দুই দিন আগেই দেখা করেছেন তিনি। সেই থেকেই আশায় ছিলেন, কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে সাকিব যেন খেলেন। কাল সেই স্বপ্নও পূরণ হয়েছে ফাহাদের। | 98,172 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৬ | ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৯ | বাংলা গান | 0 | শ্রীলঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ে সুমী | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1369006 | দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত নিয়ে অনেকবার কথা বলেছেন চিরকুট ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য শারমীন সুলতানা সুমী। সর্বশেষ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার তিনি শ্রীলঙ্কার পেরাডেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন। আগামীকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি কথা বলবেন। তাঁর আলোচনার বিষয় চিরকুট, চাকরি আর সংগীতকে কীভাবে সামলান, তা নিয়ে। দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের গান ও নিজেদের ব্যান্ড নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়ে সুমী খুবই খুশি।চিরকুট ব্যান্ডের পাশাপাশি সুমী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। গান আর চাকরি—দুই কাজকে সামলে নিয়ে আজ সমানতালে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছেন এই শিল্পী। আজ রোববার সকালে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে শ্রীলঙ্কা থেকে সুমী বলেন, ‘নিঃসন্দেহে দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি হয়ে কিছু বলতে পারা অনেক আনন্দের। আমি ঘণ্টা খানেক কথা বলব। চাকরি ও সংগীত—দুটো একসঙ্গে কীভাবে সামলাই। দুটো কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া কঠিন, তারপরও করছি। এই দুটো কীভাবে সমন্বয় করে চলছি, তা নিয়ে কথা বলব।’সুমী আরও বললেন, ‘দেশের বাইরে নিজের দেশের সংগীত নিয়ে কথা বলতে পারা ভীষণ আনন্দের। আমাদের গানের শক্তি সম্পর্কে সেখানে শিক্ষার্থীদের জানাতে পারব। আমাদের ব্যান্ড চিরকুট দেশের বাইরেও কাজ করেছে। আমাদের গানের চাহিদা সেখানে শ্রোতাদের মাঝে আছে। এ কারণেই এমনটা হয়েছে।’এদিকে ১৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার জাতীয় বেতার চ্যানেল শ্রীলঙ্কা ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে প্রায় দেড় ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুমী। ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নামের অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন বাংলাদেশের সংগীত, চিরকুট এবং পেশাগত জীবন নিয়ে। সুমী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় এসে তাদের জাতীয় চ্যানেলে অংশ নিয়েছি। একজন বাংলাদেশি হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক গর্বের। সময়টা খুব উপভোগ করেছি।’২১ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবেন সুমী। | 345,152 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জুলাই ২০১৪, ০১:৩৫ | ২৬ জুলাই ২০১৪, ০১:৩৭ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | তিতাসের ২১ নম্বর কূপের সংস্কার করবে বাপেক্স | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/277441 | সরকারি কোম্পানির পরিচালনাধীন তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২১ নম্বর কূপটির সংস্কার করবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। গ্যাসের সঙ্গে অতিরিক্ত পানি ওঠায় ওই কূপটি থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের পরিচালক কোম্পানি—বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আবসার গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাপেক্সকে দিয়ে কূপটির ওয়ার্কওভার (সংস্কার) করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কবে এই ওয়ার্কওভার করা যাবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে বাপেক্স, তাদের চলমান কাজের সঙ্গে সমন্বয় করে।’বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর পাঁচটিতে ১০টি কূপ খননের চুক্তির অধীনে রাশিয়ার শীর্ষ জ্বালানি কোম্পানি গাজপ্রম তিতাসের এই কূপটিও খনন করে। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কূপটি থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উঠছিল।বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘যেকোনো কূপ থেকেই কখনো কখনো এ রকম অতিরিক্ত পানি আসতে পারে। এটা একেবারে অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। সংস্কার করে পানি আসার কারণ বন্ধ করতে হবে।’অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত ২৩টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২০টি থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে ক্ষেত্রটিতে গ্যাসের চাপ প্রাথমিক অবস্থার তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসায় সবগুলো কূপেই গ্যাসের চাপ কমছে। ইতিমধ্যে কোনো কোনো কূপের পরিধি বাড়িয়ে নতুন স্তর থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে একটি কূপ থেকে অতিরিক্ত পানি আসা খুব ভালো লক্ষণ নয়। | 80,976 |
মাসুম আলী | life-style | জীবনযাপন | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৮ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৫১ | জীবনধারা | 0 | শিশুর যত্নে দরকারি বই | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/456745 | অনেকগুলো মোটা বই নিয়ে ধীরপায়ে বইমেলায় ঘুরছিলেন স্বামীবাগের মোস্তাক আহমেদ। একটি ব্যাংকে কর্মরত তিনি। অফিস সেরে বাসায় না ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার সোজা চলে আসেন বইমেলায়। জানালেন, তাঁর ঘরে দুই বাচ্চা। বাচ্চার মা পত্রিকায় নাম দেখে বাচ্চাদের চিকিৎসাসংক্রান্ত তিনটি বইয়ের আবদার করেছেন। এর পাশাপাশি নিজের প্রয়োজনমতো কিছু বইও কিনলেন। মোস্তাক সাহেবের হাতে তখন ছিল ডা. প্রণব কুমারের লেখা ছোটদের চিকিৎসাসমগ্র বইটি।অমর একুশে গ্রন্থমেলার গতকাল ১৯তম দিন পেরিয়ে গেছে। গল্প, উপন্যাস কিংবা কবিতার বইয়ের পাশাপাশি চিকিৎসাসংক্রান্ত বইয়ের প্রকাশ এবং বিক্রি বেশ ভালো। একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় গতকাল পর্যন্ত ৩২টি চিকিৎসাসংক্রান্ত নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুদের স্বাস্থ্য ও যত্ন নিয়ে বের হয়েছে ১৮টি।সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন প্রকাশনার বাইরে পুরোনো বেশ কিছু বই মেলায় ছিল, যা পাঠকেরা খুঁজেছেন। চিকিৎসা কিংবা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বইয়ের মধ্যে শিশুস্বাস্থ্যবিষয়ক বইয়ের চাহিদাটা বেশি।ডা. প্রণব কুমার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান। জানালেন, এবারের মেলায় তাঁর নতুন তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে ছোটদের চিকিৎসাসমগ্র-৪, প্রকাশ করেছে রূপ প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কাইয়ুম চৌধুরী। গ্রন্থ কুটির প্রকাশ করেছে শিশুর অসুখ বিসুখ ও প্রতিকার। এবারের বইমেলায় প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে, তাঁর লেখা বই তুমি, কীভাবে ভালো থাকবে। তিনি জানান, শিশুদের বিষয়টি স্পর্শকাতর। শুধু সঠিক যত্নের অভাবে অনেক শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, তারা নানা রকমের রোগে কষ্ট পায়।বস্ত্র প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম মেলায় এসেছিলেন একটি মাত্র বই কিনবেন বলে। জানালেন, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। নতুন বাচ্চার যত্নটা যেন যথাযথভাবে নিতে পারেন তাই স্ত্রী নিজেই বইটি নিতে বলেছেন। ঘরে বসে বই পড়বেন।স্বাস্থ্যবিষয়ক অন্যান্য বইও পাঠকেরা আগ্রহ নিয়ে কিনছেন। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি জানালেন, পাঠকের চাহিদার বৈচিত্র্য দিনে দিনে বাড়ছে। গল্প, উপন্যাস কেনার পাশাপাশি অনেকে স্বাস্থ্যবিষয়ক বই খোঁজেন।অনুপম প্রকাশনীর কর্ণধার মিলন কান্তি নাথ জানান, এবার মেলায় তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে ড. শামসুদ্দিন আহমেদের ভেষজ উদ্ভিদ লোকজ চিকিৎসা এবং ডা. সজল আশফাকের লেখা অ-তে অসুক বিসুক থাকুক দূরে। এ ছাড়া মেলায় বিক্রি হচ্ছে অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল হকের পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয় ও ক্যান্সার, রেজাউল ফরিদ খানের যৌনরোগ ও এইডস, সজল আশফাকের নারী: অসুখে বিসুখে। এ ছাড়া সাহিত্য প্রকাশ থেকে এসেছে ডা. সুশান্ত কুমার বিশ্বাসের গ্লুকোমা। বাংলায় লেখা এই বইটির বেশ চাহিদা রয়েছে। সূচিপত্র থেকে এসেছে দীপু মাহমুদের শিশু-কিশোরদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যজিজ্ঞাসা।ডা. আবু সাঈদ শিমুলের লেখা একটি দরকারি বই বাচ্চা খেতে না চাইলে কি করবেন। প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশন। এই বইয়ে যোগ করা হয়েছে শিশুর জন্য উপকারী ১০০টি মজাদার স্বাস্থ্যকর রেসিপি। বাচ্চাকে খাওয়ানোর টিপস, ৬ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুর খাবার, ১২ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুর খাবার, ২ বছরের পর থেকে শিশুর খাবার, বাচ্চা কতটুকু পানি খাবে, লবণ খাবে, বুদ্ধি বাড়ানোর খাবার, ওজন বাড়ানোর, রক্ত বাড়ানোর খাবার, অসুখে বাচ্চা কী খাবে, ডায়রিয়া হলে কী খাবে, পায়খানা শক্ত হলে কী খাবে—এমন অনেক অধ্যায় নিয়ে বইটি সাজানো। | 117,054 |
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪০ | ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৩ | সৈয়দপুর,নীলফামারী,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সম্মাননা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/413461 | দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মমিনুর রহমানকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট পেয়ে কেঁদেই ফেললেন ওই শিক্ষক। তিনি বললেন, ‘কষ্ট পাই যখন দেখি আগামীর সম্ভাবনাময় আমাদের শিক্ষার্থীরা মরণনেশা মাদকে ঝুঁকছে, তাদের আলোর পথে ফেরাতেই হবে।’ এ বক্তব্যের সূত্র ধরে পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে সমাজকে মাদকমুক্ত করার আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম রসুল। বক্তব্য দেন শিক্ষানুরাগী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান, উপাধ্যক্ষ লুৎফর রহমান প্রমুখ। | 103,583 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৫, ১০:৩৮ | ১৭ এপ্রিল ২০১৫, ১৫:১৬ | গাজীপুর,অপরাধ | null | সাফারি পার্কে কিশোরের লাশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/505297 | গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে আজ শুক্রবার সকালে মো. সাকিব (১৫) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয়।সাকিবের বাবার নাম গোলাম মোস্তফা। বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সাত ভিলা গ্রামে। সাকিবের লাশের গলায় রশি প্যাঁচানো এবং নিম্নাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল।শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সরোয়ার্দির ভাষ্য, সকাল সোয়া ছয়টার দিকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের পেছনের অংশের শালবন থেকে সাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে সুতার রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।এসআই সরোয়ার্দির ভাষ্য, উল্লাপাড়া থানায় সাকিবের বাবা গোলাম মোস্তফার করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক কিশোরকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়।সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, সাকিবসহ তিন বন্ধু গত ১৫ এপ্রিল ওই সাফারি পার্কে বেড়াতে যায়। এর পর থেকে সাকিব নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় সাকিবের বন্ধু রবিনকে আটক করা হয়।নিহত সাকিব উল্লাপাড়ার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। | 131,778 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:১৭ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:১৭ | বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | ফেনীতে থানার গেটের ফলক ভাঙার ঘটনায় চুরির মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1087537 | ফেনী সদর মডেল থানার গেটে পুলিশ সুপারের নামসংবলিত ফলক ভেঙে ফেলার ঘটনায় গতকাল বুধবার চুরির মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে থানা গেটের ওই নামফলক ভেঙে ফেলা হয়। ফেনী পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফলকটি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।গতকাল চুরির অভিযোগ করা মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০-১১ জনকে। ফেনী সদর মডেল থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম এই মামলা করেন। মামলার এজাহারে নামফলকটি ভেঙে চুরি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।মামলার আসামিরা হলেন লিটন (৪০), মুজিব (৫৪), কার্তিক (৪৫), রঙ্গুলাল (৩৭), আলম (৪৫), নুর ইসলাম মিয়া (৪৫), ফকির মিয়া (৩৫), মো. নুরুজ্জামান (৪০) ও লালু লাল (৩৫)। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টেলিভিশন ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের আসামি করা হয়ছে।সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। | 296,268 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:০০ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:০১ | বরগুনা,বরিশাল বিভাগ,অপরাধ | 0 | গৃহবধূকে মারধর করে চুল কর্তন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/705022 | বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও সতিন মিলে নির্যাতন করে চুল কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ওই গৃহবধূর নাম হাসি বেগম (৩০)। গত শনিবার দুপুরে গ্রামবাসী তাঁকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী গ্রামে।ওই গৃহবধূ বলেন, চার বছর আগে মুঠোফোনে ইটবাড়িয়া গ্রামের নাসির উদ্দীনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ২০১২ সালের মাঝামাঝি তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর তিনি জানতে পারেন নাসিরের আরেক স্ত্রী আছেন। বিয়ের কয়েক মাস যেতেই যৌতুকের দাবিতে তাঁর (হাসি) ওপর নির্যাতন শুরু করেন নাসির। নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি চলতি বছরের প্রথম দিকে বাবার বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে চলে যান। এরপর কয়েক দফা সালিস বৈঠকের পর পুনরায় স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই নতুন করে শুরু হয় নির্যাতন। গত শুক্রবার রাত ১০টায় নাসির উদ্দীন প্রথম স্ত্রী সালমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে হাসিকে মারধর করেন। একপর্যায়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাঁকে ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এরপর তাঁর মাথার চুলের কিছু অংশ কেটে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত হলে ওই রাতে ঘরের একটি কক্ষে বেঁধে তাঁকে ও তাঁর ছয় মাস বয়সী ছেলে ইয়াসিনকে আটকে রাখেন তাঁরা। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি সেখান থেকে কৌশলে পালান। প্রায় তিন কিলোমিটার দৌড়ে তিনি সকালে পার্শ্ববর্তী আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে পৌঁছান। তবে লোকজনের কাছে ধরা খাওয়ার আতঙ্কে তিনি খালে ঝাঁপ দেন। এ সময় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যান বরগুনা থানায় জানালে পুলিশ দুপুরে তাঁকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।গতকাল রোববার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র ব্যথায় কাতরাচ্ছেন হাসি বেগম। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসির শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁর সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় হাসি বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। | 181,155 |
-1 | sports | খেলা | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৫৩ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৫৩ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,খেলা | 0 | গোলবন্যা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/45571 | জয় দূরের কথা, এ পর্যন্ত খেলা সাত ম্যাচে কোনো গোলই করতে পারেনি সান মারিনো! ওদিকে প্রতিপক্ষ দলগুলো রীতিমতো স্টিমরোলার চালাচ্ছে ৬১ বর্গকিলোমিটারের দেশটির ফুটবল দলের ওপর। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ৭ ম্যাচেই সান মারিনো খেয়েছে ৩৮ গোল! ইউক্রেনের কাছে পরশু ৯-০ গোলে হার এবারের বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে বাজে ফল। সান মারিনোর জন্য অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা একেবারে নতুন নয়। ২০০৮ ইউরো বাছাইপর্বের এক ম্যাচে জার্মানির কাছে তারা হেরেছিল ১৩-০ গোলে! এএফপি। | 15,066 |
-1 | opinion | মতামত | ১১ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:২৭ | ১১ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:২৮ | মতামত | 0 | ৭৪ শতাংশ ভোটকে স্বাভাবিক বলা যাবে না | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/736492 | এম সাখাওয়াত হোসেন | জানুয়ারি ৬, ২০১৬মতামত: পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণে প্রায় ৭৪ শতাংশ ভোট এবং তদূর্ধ্ব বৈধ ভোট প্রাপ্তিকে স্বাভাবিক বলা যায় না। দৃশ্যত, বেশির ভাগ শান্ত পরিবেশ থাকলেও তথ্যে প্রকাশ যে ব্যালট স্টাফিং হয়েছে কক্ষের বা বুথের ভেতরে।মাহতাব হোসেনগণতান্ত্রিক দেশে ব্যবস্থাপনা নয়, কারচুপির কারণে নির্বাচন বিতর্কিত হয়। সম্মানিত নিবন্ধকারের পর্যবেক্ষণ হলো—নির্বাচন বিতর্কিত হতে পারে প্রধানত দুটো কারণে। একটা হলো নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাগত, অন্যটা হলো কারচুপি, যা আমাদের মতো সাধারণ জনগণেরও মত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে দু-একটা নির্বাচন ছাড়া প্রায় সবগুলোতেই তার কোনো কোনোটা বা উভয়টা কমবেশি ছিল, যা বর্তমানকালে একেবারেই যেন নির্বাচনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অবতীর্ণ হয়েছে।সালেকিননির্বাচনে ভোট পড়েছে খুব বেশি কিন্তু বিএনপি ভোটের দিন যেমন নীরব আজও নীরব। তারা শুধু চেঁচামেচি করে যাচ্ছে—আপনার তথ্য-যুক্তি কিছুই দিতে পারছে না।আমার ব্যক্তিগত অনুসন্ধানে যা বুঝি, আওয়ামী লীগ অনেক পৌরসভাতেই জিতে যেত কিন্তু তারা কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। কাজেই ভোটের অস্বাভাবিক হার। আর বিএনপি মাঠেই ছিল না, সেটার জন্য আওয়ামী লীগ যতটা না দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী ছুটকো-ছাটকা লোকদের এজেন্ট নিয়োগ; নীতিহীন, আদর্শহীন, লক্ষ্যহীন রাজনীতি।মো. শাহেদবিগত কয়েকটি নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় দেখেছি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে বিরতিহীনভাবে ভোট প্রয়োগ করলে তিনটি ব্যালটে ভোট দিতে হলে ঘণ্টায় ২০-২২টির বেশি ভোট দেওয়া যায় না। | 191,487 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০২ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০৩ | নির্বাচন | 0 | নবাব বিজয়ী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1048655 | কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত) সদস্য পদে এ কে মাইনুজ্জামান নবাব (ঘুড়ি প্রতীক) ৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. গিয়াস উদ্দিন (নলকূপ) পেয়েছেন ৩৬ ভোট। মোট তিনজন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৯৩ জন ভোটারের মধ্যে ৯২ জন ভোট দেন। তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি | 278,321 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ০৯ আগস্ট ২০১৭, ০০:৩৩ | ০৯ আগস্ট ২০১৭, ০০:৫০ | খাবারদাবার,অধুনা | 0 | জাম্বুরা নাকি মাল্টা | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1281986 | জাম্বুরা ও মাল্টা দুটোই টকজাতীয় ফল, কিন্তু কোনটি খেলে বেশি ভালো—এমন প্রশ্ন হরহামেশাই শোনা যায়। মূলত সাইট্রিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ এই ফল দুটোর কাজ কমবেশি একই রকম হলেও কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকার কারণে দুটি ফলই কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে কাজ করে। একই ঘরানার দুটি ভিন্ন ফলের কোনটি কেমন কাজ করবে, সেটি জানিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ। জাম্বুরাজাম্বুরা মূলত লো ক্যালরিসমৃদ্ধ ফল। খাবারের রুচি বাড়াতে জাম্বুরা বেশ কার্যকর। মাল্টার চেয়ে জাম্বুরায় পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো কাজ করে। একই সঙ্গে যাঁরা পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্যও জাম্বুরা বেশ ভালো। এমনকি উচ্চরক্তচাপের রোগীর জন্যও লবণ ছাড়া জাম্বুরা ভালো। তবে যাঁদের ক্রিয়েটিনিন বেশি এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ফল এড়িয়ে যাওয়া ভালো। মাল্টাসাইট্রিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ হলেও মাল্টাতে জাম্বুরার চেয়ে চিনির পরিমাণ বেশি। তাই যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের জন্য মাল্টা এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এটিও ত্বকের জন্য ভালো এবং উচ্চরক্তচাপের রোগীর জন্য মাল্টা খেতে কোনো মানা নেই। যাঁদের ক্রিয়েটিনিন বেশি এবং কিডনির সমস্যা আছে, তাঁদের উচিত মাল্টা না খাওয়া।গ্রন্থনা: ফাবিহা সাহাব উদ্দিন | 331,708 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৬ | ১১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৫৮ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,মহানগর | 0 | তারাপুর চা–বাগানে পূজার আনন্দ দ্বিগুণ! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/998325 | টিলায় পূজামণ্ডপ। চা-বাগানের ফাঁক দিয়ে সরু পথ। প্রবেশমুখে তোরণ। করা হয়েছে আলোকসজ্জা। পূজামণ্ডপ ঘিরে আনন্দ-ফুর্তিতে মেতেছেন চা-শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। এবার তাঁদের আনন্দ একটু বেশিই।পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি চা-শ্রমিক মনোরঞ্জন দাস বললেন, ‘এইবার বাগানের আসল মালিক আমাদের সঙ্গে থাকায় পূজার আনন্দ দ্বিগুণ!’ এই আসল মালিক হচ্ছেন তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তির সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত।সিলেট শহরের পাঠানটুলা এলাকার ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার তারাপুর চা-বাগান মালিকপক্ষের হাতছাড়া ছিল প্রায় চার দশক। সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে সেবায়েত পঙ্কজ কুমারের উপস্থিতিতে দুর্গাপূজা হয়েছিল। এরপর বাগানটি বেদখল হলে পঙ্কজ কুমারও হয়ে পড়েন দেশছাড়া। গত ১৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ মে বাগানটি জেলা প্রশাসন সেবায়েত পঙ্কজ কুমারকে বুঝিয়ে দেয়। ৩১ আগস্ট দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭১৫টি স্থাপনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।পূজা কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন জানান, তিনি তাঁদের বংশের চতুর্থ প্রজন্মের একজন চা-শ্রমিক। তাঁর দাদা ও বাবার আমলে পূজা হতো সরাসরি মালিকের উপস্থিতিতে। পরবর্তী সময়ে মূল মালিকেরা আর বাগানের কর্তৃত্বে না থাকায় প্রায় চার দশক ধরে চা-শ্রমিকেরা পূজার আয়োজন করেন। অবশ্য পূজার খরচ চা-বাগান কর্তৃপক্ষই দিত। মনোরঞ্জন বলেন, ‘এইবার আনন্দ দ্বিগুণ হওয়ার কারণটাই হচ্ছে মূল মালিকের উপস্থিতি। তাঁরা শ্রমিক পরিবারের ছোট-বড় সবার সঙ্গে মিশে আছেন।’ নারী চা-শ্রমিক দিপালী মোদী তারাপুর চা-বাগানের পুরোনো শ্রমিকদের একজন। তিনি চা-পল্লির চারটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মণ্ডপে। দিপালী বলেন, মণ্ডপে দুপুরে ভোজ থাকায় চা-পল্লির কোনো ঘরে রান্নাবান্না হয়নি। মালিকেরা সরাসরি নিমন্ত্রণ দিয়ে সবাইকে নিয়ে এসেছেন। এমন আতিথেয়তা এ বাগানে প্রায় চার দশক পর দেখছেন তাঁরা।গতকাল সোমবার দুপুরে পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, পুষ্পাঞ্জলিতে ব্যস্ত সেবায়েত পঙ্কজ কুমার। সঙ্গে তাঁর চিকিৎসক স্ত্রী শুভা গুপ্তা। চা-শ্রমিকেরা দুজনকে অনেকটা মধ্যমণি করে পূজা-অর্চনায় মগ্ন। পুষ্পাঞ্জলি শেষে কথা হয় পঙ্কজ কুমারের সঙ্গে। কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন তাঁকে বাগান বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে আশপাশের স্থাপনাগুলোর মালিকানা পরে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করে পঙ্কজ কুমার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক রীতি হচ্ছে দুর্গাপূজায় পাঁচ পদের তরকারি রান্না করে সবাইকে খাওয়ানো। চা-বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলোতে পাঁচ তরকারির রান্না করা দুপুরের খাবার ১৯৮৮ সালের পর এবারই প্রথম খাওয়ালাম। এতে করে নিজের মনে একধরনের প্রশান্তি এসেছে।’শুভা গুপ্ত বলেন, ‘বাগানের স্পর্শটাই আমাদের জন্য পরম আনন্দের। এত দিন বঞ্চিত ছিলাম। চা-গাছ থেকে শুরু করে শ্রমিক পরিবারের সবাইকে আপনজন মনে হচ্ছে।’ | 255,044 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৪:৪৬ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৪:৪৯ | রাজনীতি | null | এরশাদকে আটকের প্রতিবাদে কঠিন সিদ্ধান্ত আসছে: কাজী ফিরোজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/101128 | জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক মুখপাত্র কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, এরশাদকে আটকের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বিকেলে যে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে কঠোর ও কঠিন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।দলের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদের বাসা থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাজী ফিরোজ। সমাবেশটি বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আপনারা লক্ষ্য করছেন, দেশ একটা কঠিন সমস্যার মধ্যে রয়েছে। জাতীয় পার্টি আরও কঠিন সমস্যায় রয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদকে আটকের প্রতিবাদে আজ যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেখান থেকে একটা কঠোর ও কঠিন সিদ্ধান্ত আসবে অল্প কিছুক্ষণ পরই।রওশন এরশাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী ফিরোজ বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের অবস্থান ও মনোভাব কী, এ ব্যাপারে তাঁকে জানানো হয়েছে। আসলে দলটির অবস্থান কী—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছেও বিষয়টা স্পষ্ট নয়। আমরা একদিকে দেখছি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন, অন্যদিকে আমাদের ৬-৭ জন মন্ত্রীও রয়েছেন।’গতকাল রাতে রওশন এরশাদের সঙ্গে এরশাদের কী নিয়ে বৈঠক হয়েছে—এ সম্পর্কে কাজী ফিরোজ বলেন, এরশাদের খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।বলা হচ্ছে, এরশাদ ‘আটক’ আছেন। অথচ তিনি বিবৃতিও দিচ্ছেন। এটা কেমন আটক—এ সম্পর্কে কাজী ফিরোজ জানান, এটা তাঁদের কাছেও স্পষ্ট নয়। মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দলের মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার ও প্রেসিডিয়ম সদস্য জিএম কাদের বলতে পারবেন।কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছে, রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটা অংশ নির্বাচনে যাচ্ছে। ‘আটক’ হওয়ার পর গতকালই এরশাদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত্ করেন রওশন। একই দিন তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৪০ মিনিট বৈঠক করেন। | 36,271 |
রোজিনা ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৩২ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬, ১০:০৩ | অপরাধ,ঢাকা বিভাগ | null | পাঁচ আবাসিক এলাকার অবৈধ ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/739666 | রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরা ও বারিধারা আবাসিক এলাকার সব অবৈধ ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ইতিমধ্যে ওই পাঁচ এলাকার সমীক্ষা শেষ হয়েছে। বাস্তব অবস্থা দেখতে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কয়েকটি দল এসব এলাকা পরিদর্শন করবে। আগামী সপ্তাহে শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান। তবে এখনই স্কুল ও হাসপাতাল উচ্ছেদ না করে সেগুলোকে স্থানান্তরে নোটিশ দেওয়া হবে।অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের তালিকায় রয়েছে বার, গেস্টহাউস, বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার, ফিটনেস সেন্টার, স্পা, বিউটি পারলার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লিনিক, কলেজ, কোচিং সেন্টার, বুটিকের দোকান। এ ছাড়া আবাসিক এলাকার কোনো প্লটে কেউ যদি বেসমেন্ট বা ভূতলের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বন্ধ রাখেন বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করেন, সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আবাসিক এলাকায় বারের লাইসেন্স বাতিল করা, লাইসেন্স নবায়ন না করা এবং নতুন কোনো লাইসেন্স না দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের ঘরবাড়ি করার অনুমতি দিয়েছি, তাঁরা সেখানে গাড়ির শোরুম, রেস্টহাউস করেছেন। সেটাকে বাণিজ্যিক এলাকা করেছেন।’এ উদ্যোগ কার্যকর হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যাট অ্যানি কস্ট আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে স্কুল ও হাসপাতালকে নোটিশ দিয়ে স্থানান্তর করার সময় দেব। যদি কেউ রাজউকের নির্দেশ না মানেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেব, তা-ও দেখবেন। আমরা আগামী সোমবার থেকে অ্যাকশনে যাব।’ তিনি বলেন, ‘যদি কেউ দুর্নীতিতে ডুবে যায়, তবে কোনো উদ্যোগই কার্যকর হয় না। আমরা এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিচালনা করে দেখিয়ে দেব আমরা কতটা স্বচ্ছ।’গত ২৯ ডিসেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কার্যবিবরণীতে বলা হয়, শিল্প, বাণিজ্যিক বা আবাসিক—যা-ই হোক না কেন, কেউ যদি বেসমেন্ট বা গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বন্ধ করে রাখেন বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করেন, সেগুলো সব উচ্ছেদ করা হবে। সিটি করপোরেশন সেখানে ট্রেড লাইসেন্স দেবে না। আবাসিক এলাকায় কোনো হোটেল, গেস্টহাউস, রেস্টুরেন্ট থাকতে পারবে না।ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম মহানগরে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করছে। এর সমাধান করতে হবে। তবে যাঁরা এখানে কাজ করছেন, তাঁদের জীবন-জীবিকার দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। যেখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে, সেখানে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। তবে হঠাৎ করে এত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। রাজউকের নীতিমালার মধ্যেও সমস্যা রয়েছে।গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, অনেকেই সীমিত আকারে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে অনেক বেশি বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন।তবে সিটি করপোরেশন সূত্র বলেছে, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের লাইসেন্স সিটি করপোরেশন দেয় না। ২০০৭ সালের পর থেকে এটা একেবারেই বন্ধ রয়েছে। অনেকেই বাণিজ্যিক এলাকার ঠিকানায় ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে আবাসিক এলাকায় ব্যবসা করেন।এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ট্রেড লাইসেন্স মানে কারও অধিকার নয়। জমির মালিক রাজউক বা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ বা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সেখানে কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করলে তার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেয়। এই ট্রেড লাইসেন্স কাউকে জমির মালিকানা বা বন্দোবস্ত দেয় না। আইনগতভাবে ট্রেড লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।গণপূর্ত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, অনেক ক্ষেত্রে আবাসিক প্লটে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতির ক্ষেত্রে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই জড়িত থাকেন। রাজউকের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং কমপ্লেক্স ইত্যাদি গড়ে ওঠায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনার বিষয়ে দুজন সাবেক মন্ত্রী রাজউককে চিঠি দিয়েছেন। তাঁদের একজন চিঠিতে বলেছেন, তাঁর বাসা গুলশান আবাসিক এলাকায়। এখানে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন সম্পূর্ণ নিষেধ। বর্তমানে তাঁর এলাকায় একটি ১৪ তলা ভবন নির্মিত হচ্ছে। এফএআর ডিজাইন অনুযায়ী আবাসিক মর্যাদা নিয়ে বাড়ি নির্মিত হওয়ার কথা। কিন্তু বাড়ির উচ্চতা, ডিজাইন দেখে মনে হয় যে এফএআর ডিজাইন অনুযায়ী বাড়িটি নির্মিত হচ্ছে না, এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট বাড়ি হিসেবেও নির্মাণ করা হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড়িটি গেস্টহাউস বা হোটেল হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এখানে গেস্ট হাউস/হোটেল বা বাণিজ্যিকভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলে এলাকার আবাসিক মর্যাদা সম্পূর্ণ বিনষ্ট হবে। আমি জানি না, রাজউক কোন নীতি অনুসরণ করে এ বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।’রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভুইয়া বলেন, অবৈধ ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে রাজউকের তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এই সাঁড়াশি অভিযান চলবে। | 192,174 |
রয়টার্স | international | আন্তর্জাতিক | ০৯ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৩২ | ০৯ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৩৩ | ইউরোপ | 0 | মার্কিন পর্যবেক্ষকদেরও আসার অনুমতি দেবে না রাশিয়া | http://www.prothom-alo.com/international/article/1017321 | মার্কিন নির্বাচনে রুশ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদন না করায় রাশিয়াও ভবিষ্যতে দেশটির নির্বাচনে মার্কিন পর্যবেক্ষকদের আসতে দেবে না।এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।রুশ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান আরআইএ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভ জানান, মার্কিন নির্বাচনের সম্ভাব্য বিচ্যুতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিনিধিদল পাঠাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু মার্কিন কর্তৃপক্ষ সেই অনুমতি দেয়নি। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করা হয়েছে।ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির বিরুদ্ধে হ্যাকিং আক্রমণ চিহ্নিত করা সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্রাউডস্ট্রাইক বলেছে, সে জন্য দায়ী হ্যাকার ‘কোজি বিয়ার্স’ এর সঙ্গে রাশিয়ার সেনা গোয়েন্দাদের সম্পর্ক আছে। | 263,656 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৬, ১৬:৪৫ | ১১ জানুয়ারি ২০১৬, ১৬:৪৬ | দুর্ঘটনা | 0 | মিনিবাস কেড়ে নিল প্রবীণ দম্পতির প্রাণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/737287 | রংপুর শহরের মাহিগঞ্জে আজ সোমবার দুপুরে মিনিবাসের চাপায় এক প্রবীণ দম্পতির মৃত্যু হয়েছে।নিহত দুজন হলেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক মাহবুবার রহমান (৬২) ও তাঁর স্ত্রী নাজমা খাতুন (৫২)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার জোলাপাড়া গ্রামে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মাহবুবার-নাজমা দম্পতি মোটরসাইকেলে করে রংপুর থেকে পীরগাছায় বাড়িতে ফিরছিলেন। বেলা আড়াইটার দিকে নগরের মাহিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা হিমালয় পরিবহনের একটি মিনিবাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁদের দুজনের মৃত্যু হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আটকে ভাঙচুর করে।প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, মিনিবাসটির গতি বেপরোয়া ছিল।মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) আফওয়াজুল ইসলাম দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মিনিবাসটি আটক করা হলেও চালক ও তাঁর সহযোগী পালিয়ে গেছেন। | 191,252 |
নিউইয়র্ক প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৪, ১২:২১ | ২৮ এপ্রিল ২০১৪, ১২:২৩ | -1 | 0 | চলে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সমাজকর্মী হেলাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/203815 | যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির সক্রিয় সংগঠক নাজমুল হক হেলাল আর নেই (ইন্না ইলাহি...রাজিউন)। গতকাল রোববার দুপুরে মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট নগরে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।নাগরিক অধিকার নিয়ে সক্রিয় থাকা সমাজকর্মী নাজমুল হক হেলালের বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। কিছুদিন আগে তাঁর লিউকিমিয়া ধরা পড়ে। প্রথম দফা কেমোথেরাপি দেওয়ার পর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।তাঁর মরদেহ ডেট্রয়েট নগরের মসজিদ উন নুর ফিউনারেল হোমে রাখা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার বাদ জোহর মসজিদ উন নুরে মরহুমের জানাজা হবে।১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকেই নাজমুল হক হেলাল বাংলা সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর বিচরণ ছিল নিউইয়র্ক থেকে মিশিগান পর্যন্ত। ২০০০ সাল থেকে নাজমুল হক হেলাল পরিবার নিয়ে মিশিগানে বাস করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার মোল্লা গ্রামে। | 69,154 |
মোসতাকিম হোসেন, চট্টগ্রাম থেকে | sports | খেলা | ২১ জুলাই ২০১৫, ০১:৫৭ | ২১ জুলাই ২০১৫, ০১:৫৯ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,খেলা | 0 | পালাবদলের নেতৃত্বে আমলা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/581173 | টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ওঠা বাকিদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকেই। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বৈরথের ইতিহাসও একেবারে একতরফা, মুখোমুখি আট টেস্টের মাত্র একটি ছাড়া সবগুলোতেই জিতেছে ইনিংস ব্যবধানে। টেস্ট সিরিজের আগে হাশিম আমলার অন্তত র্যা ঙ্কিংয়ের নয় নম্বর দলের ভাবনায় জেরবার হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যত বড় গলায় দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক জয়ের কথা বলতে পারতেন, ততটা বললেন কই?এমনিতে মাঠে যেমন তাঁর ব্যাটিং চোখের জন্য দারুণ দৃষ্টিসুখকর, সংবাদ সম্মেলনেও আমলার কথাবার্তা সে রকমই পরিশীলিত। ‘জয়টা কোনো ব্যাপার নাকি’ জাতীয় শরীরী ভাষা আমলার সঙ্গে একেবারেই যায় না। তার ওপর পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমলাকে যেন আরও আড়ষ্ট করে রাখল। ওয়ানডে সিরিজের হারের ক্ষতটা এখনো দগদগে। হৃদয় খুঁড়ে উঠে আসা বেদনা নিয়েই আমলা মানলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে ওয়ানডে সিরিজে পারফর্ম করেছে, নিশ্চয়ই তারা সেই আত্মবিশ্বাসটা টেস্ট সিরিজেও নিয়ে যাবে।’ওয়ানডে আর টেস্টের মেজাজ-ধরন সবকিছুই একেবারে অন্য রকম। আমলা তাই যৌক্তিকভাবেই আশা করছেন, সাম্প্রতিক ফলটা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না, ‘টেস্ট ক্রিকেটের ধরনটা আলাদা। অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে আমরা কেমন খেলতে পারছি, সেটাই আসলে বড়।’ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট-দর্শনও মনে করিয়ে দিলেন, ‘আসলে ওরা কেমন খেলবে, সেটা নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবছি না। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের ভালো করার একটা বড় কারণ, আমরা প্রতিপক্ষ বিচার করে খেলি না, নিজেদের খেলাটাই খেলার চেষ্টা করি। সেটা করতে পারলে আমার মনে হয় ফল অবশ্যই আমাদের পক্ষে আসবে।’ তবে কিছুদিন আগে হলেও ‘ফল পক্ষে আসার’ কথা না বলে আমলা হয়তো জয়ের কথাই বলতেন সরাসরি!কথাটা একটু ঘুরিয়ে বলার আরও কারণ আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং বিশ্বের অন্যতম সেরা, এ নিয়ে দ্বিমত করার কিছু নেই। স্টেইন-ফিল্যান্ডার-মরকেলকে নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ রীতিমতো ভীতি-জাগানিয়া। তবে ব্যাটিং নিয়ে বড় একটা প্রশ্নচিহ্ন আছেই। ওয়ানডেতে এবি ডি ভিলিয়ার্সের অভাবটা ভালোই টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টেও তিনি নেই। এই শূন্যতা যে অপূরণীয়, সেটি মেনে নিয়েও অন্যভাবে ভাবতে চাইছেন আমলা, ‘বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানের অভাবটা যেকোনো দলই অনুভব করতে বাধ্য। একই সঙ্গে এটাও ঠিক, অন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ।’সেই সুযোগ নতুনরা কতটা কাজে লাগাতে পারবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। সত্যিটা এই, দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং একটা পালাবদলের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। গ্রায়েম স্মিথ-জ্যাক ক্যালিসদের শূন্যস্থান তো আর এক দিনে পূরণ হওয়ার নয়। আমলার কথাতেও সেটির অনুরণন, ‘ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে আমাদের দল একটা পালাবদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড় এসেছে। ফন জিল কয়েকটা ম্যাচ খেলছে, ডিন (এলগার) অবশ্য বেশ কিছুদিন থেকে খেলছে। তবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিজ্ঞ হতে হলে পাঁচ-ছয় বছর সময় তো লাগেই।’ এই দলে যেমন আমলা ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। আমলা যেখানে টেস্ট খেলেছেন ৮২টি, ডু প্লেসি-ডি কক-ডুমিনিদের মিলিত অভিজ্ঞতা মাত্র ৫২টি টেস্টের।তার পরও টেস্টে ওয়ানডের পুনরাবৃত্তি হলে আমলা সেটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাবেন বলে মনে হয় না। | 153,841 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:২৫ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:০০ | সরকার,রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,জামায়াত,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | null | ‘ভুল’ স্বীকার করায় ড. কামালকে ধন্যবাদ তথ্যমন্ত্রীর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1574384 | জামায়াতের প্রার্থীদের সঙ্গে একই প্রতীকে নির্বাচন করা ভুল ছিল বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন যে উপলব্ধি করেছেন, সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ।আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সমন্বয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এ কথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, ড. কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন যে, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করাটা ভুল ছিল। তিনি সে ভুল উপলব্ধি করতে পেরেছেন, সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন জানান, জামায়াত প্রার্থীদের সঙ্গে একই প্রতীকে নির্বাচন করা ভুল ছিল বলে মনে করেন তিনি।একই সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন জানান, জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চান। তাই বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতির কথার প্রসঙ্গ ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেনের স্বীকারোক্তিতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, তাঁরা রাজনীতিতে পদে পদে ভুল করছেন। সেটি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন।হাছান মাহমুদ মনে করেন, ভুল স্বীকারোক্তির মাধ্যমে তাঁরা (ড. কামাল হোসেন ও তাঁর মিত্ররা) জামায়াতকে পরিত্যাগ করবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ভুল সিদ্ধান্ত পরিহার করে শপথ নেবেন বলেও আশা তথ্যমন্ত্রীর।তথ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, অবশ্যই সমালোচনা হবে। তবে অন্ধ আর একপেশে সমালোচনা কল্যাণকর হয় না।আরও পড়ুন: বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে ‘বলা যেতে পারে’: ড. কামালজামায়াত বিএনপির টিকিট পাবে জানলে ঐক্যফ্রন্টের অংশ হতাম নাড. কামাল হোসেনের দুঃখ প্রকাশকামাল হোসেন বিতর্ক | 386,845 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৪ মে ২০১৫, ০১:০৬ | ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১৭ | প্রজন্ম ডট কম | 0 | উইকিপিডিয়ার গ্ল্যাম সম্মেলন ২০১৫ | http://www.prothom-alo.com/technology/article/518692 | নেদারল্যান্ডসে গত এপ্রিলে হয়ে গেল গ্ল্যাম উইকি সম্মেলন। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স বাংলাদেশ লিড নাসির খান। তিনি লিখেছেন সম্মেলনটির অভিজ্ঞতা।উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্যালারি, লাইব্রেরি, জাদুঘর এবং আর্কাইভের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছে। পেশাদার এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই মুক্ত বিশ্বকোষটি সমৃদ্ধ করার কাজ করে যাচ্ছেন। গ্যালারি, লাইব্রেরি, মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্কাইভ-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ‘জিএলএএম’ বা গ্ল্যাম।নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে গত ১০ থেকে ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বার্ষিক ‘জিএলএএম উইকি সম্মেলন ২০১৫’। তিন দিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৪০টি অধিবেশনে ছিল নানা ধরনের উপস্থাপনা ও আলোচনা। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় উইকিমিডিয়া নেদারল্যান্ডস এই সম্মেলনটি আয়োজন করছে। ৩৫টি দেশ থেকে প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেন। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসের স্থানীয় অনেক শিক্ষার্থী ও পেশাদার ব্যক্তিত্বও এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।এবারের গ্ল্যাম-উইকি সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাঁদের প্রকল্প উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি নতুন গ্ল্যাম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কীভাবে নতুন নতুন প্রকল্প শুরু করা যায় সেসব বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানেরই তাদের সংরক্ষিত তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করা আছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়তো তথ্যগুলোর ডিজিটাল সংস্করণ পাওয়া যায় না, সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের জন্যও সহায়তা করা হয় গ্ল্যাম-উইকির মাধ্যমে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রকল্পের প্রতিটি ধাপের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।সম্মেলনের মূল ওয়েবসাইট (https://nl. wikimedia.org/wiki/GLAM-WIKI_ 2015) থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। | 136,302 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৯ এপ্রিল ২০১৭, ০২:০০ | ২৯ এপ্রিল ২০১৭, ০২:৪৫ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | পিসিবির কাছে জানতে চাইবে বিসিবি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1162096 | জুলাইয়ে যে পাকিস্তান বাংলাদেশে খেলতে আসছে না, সেটা এখনো বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি পিসিবি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানতে চাইবে, হঠাৎ কেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত।দুই দিন আগেই দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভায় পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খানের সঙ্গে দেখা হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের। তখনো সফর স্থগিত করা নিয়ে নাজমুলকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি শাহরিয়ার। কাল বিসিবি সভাপতি বলেছেন, পিসিবির কাছে সফর স্থগিতের কারণ জানতে চাইবেন তাঁরা, ‘আমরা আমাদের খসড়া সূচিটা তাদের পাঠাব। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কী জানায়, সেটা আপনাদের জানাব। কেন আসছে না আমাদের তা জানা দরকার।’আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসিসির ওয়ানডে র্যা ঙ্কিংয়ের সেরা আট দল সরাসরি খেলবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। র্যা ঙ্কিংয়ে আটের নিচে নামার ঝুঁকি না নিতেই কি পাকিস্তান সফর স্থগিত করেছে? নাজমুল সরাসরি এটিকেই কারণ বলতে পারেন না, তবে এ নিয়ে তাঁর মনের মধ্যেও একটা সন্দেহ জাগে, ‘বাংলাদেশে এসে খেলতে এখন অনেকেই চিন্তা করবে। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে নিশ্চিতভাবেই সেপ্টেম্বরের মধ্যে র্যা ঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে থাকতে হবে। এসব তো এখন বিরাট ব্যাপার।’জুলাইয়ে পাকিস্তান না এলেও আগস্টের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসাটা নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে আসতে পারে ১৮ আগস্ট। তবে কালও সিরিজের চূড়ান্ত সূচি জানাতে পারেনি বিসিবি। নাজমুল শুধু সম্ভাব্য সূচিটাই বলেছেন, ‘ওরা আসবে ঈদের (ঈদুল আজহা) আগে। প্রথম টেস্টটা ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার দু-এক দিন আগে শেষ হবে। দ্বিতীয় টেস্টটা শুরু হয়তো ঈদের তৃতীয় দিন থেকেই।’ | 314,465 |
অনলাইন ডেস্ক | life-style | জীবনযাপন | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:১৩ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:১৫ | -1 | null | কী দেখে প্রেম হয়? | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/780493 | বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হচ্ছে দুজনের মধ্যে একইরকম মূল্যবোধ, মতের মিল কিংবা গোঁড়ামি থাকা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছেন।প্রচলিত আছে, প্রেমের ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে ভিন্নমত থাকলে কিংবা দুজন দুরকম হলেও সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু একে স্রেফ কিংবদন্তি বলেই রায় দিয়েছেন গবেষকেরা। গবেষকেরা দাবি করেছেন, মানুষ পরস্পরের প্রতি একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি ও মতের মিল হলেই কেবল পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়।‘পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ।ওয়েলেসলি কলেজ ও কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্পর্কের ভীত তৈরিতে কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা বের করতে এ গবেষণা চালান।গবেষকেরা বলেন, একমনা মানুষগুলোকে একসঙ্গে আনা যায়, কিন্তু বিশ্বাস যদি না মেলে তবে দূরত্ব থেকে যায়।গবেষকেরা বলেন, কাউকে আকৃষ্ট করতে নিজের অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের পরিবর্তে আরেকজনের সঙ্গে কী কী মিল আছে তা খুঁজে বের করা উচিত। ওয়েলেসলি কলেজের অধ্যাপক অ্যাঞ্জেলা বানস বলেন, সঙ্গীর মধ্যে একই রকম বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করার বিষয়টি এত বিস্তৃত ও এর এত বেশি মাত্রা আছে যে একে ‘মানসিকভাবে পূর্বনির্ধারিত’ বিষয় বলা চলে।বানস বলেন, বিমানে দুই আগন্তুকের কথোপকথন কিংবা অপরিচিত এক জুটির প্রেমের দৃশ্য কল্পনা করুন। একেবারে প্রথম মুহূর্ত থেকে দুজন দুজনের মধ্যে কী মিল পেল তা পরবর্তী সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গবেষণার জন্য দৈবচয়নের ভিত্তিতে এক হাজার ৫০০ জুটিকে বেছে নেন গবেষকেরা। তাঁদের নিয়ে একটি জরিপ চালিয়ে মূল্যবোধ, কুসংস্কার বা গোঁড়ামি, আচরণ ও ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর তার সঙ্গীর সঙ্গে তা তুলনা করে দেখা হয়। একেবারে সদ্য জুটি হওয়াদের মধ্যে জীবনদর্শনে মিল পাওয়া গেছে।সূত্র: টেলিগ্রাফ অনলাইন | 204,838 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুলাই ২০১৪, ১৭:০৯ | ২৩ জুলাই ২০১৪, ১৭:১১ | আইন ও বিচার | 0 | চার আসামির রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল মঞ্জুর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/275464 | সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় এক আসামির খালাস ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।খালাফকে হত্যার দায়ে ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। তবে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) শুনানি শেষে গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে সেলিম চৌধুরীকে খালাস দেওয়া হয়। আল আমীন, আকবর আলী ও রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আর সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়। সেলিম চৌধুরীর খালাস এবং আল আমীন, আকবর আলী ও রফিকুল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলগুলো মঞ্জুর করেছেন।পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এক আসামিকে খালাস ও তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ তিনটি লিভ টু আপিল করেছিল। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলগুলো মঞ্জুর করেছেন। এখন নিয়মিত আপিলের সঙ্গে এর শুনানি হবে।উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত একটায় গুলশানের কূটনীতিক এলাকার ১২০ নম্বর সড়কের ১৯/বি নম্বর বাসার অদূরে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় সৌদি দূতাবাসের ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭ মার্চ গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন মামলা করেন। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। | 79,994 |
যশোর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৪২ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৪৩ | যশোর,খুলনা বিভাগ,রাজনীতি | 0 | ১০০ কর্মী কেন্দ্রে থাকবে পালাক্রমে ভোট দেবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/114382 | যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের ভোটকেন্দ্র দখল করে বেলা ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী করে আনন্দ মিছিল করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যশোর-১ (শার্শা) আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দীন। নির্বাচনী সভায় প্রকাশ্যে তিনি এ নির্দেশ দিয়েছেন।সাংসদ আফিল উদ্দীনের ওই বক্তব্যের ভিডিওসহ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গত বুধবার আবেদন করেছেন যশোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শাহীন-উল-কবীর। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ আফিলের ওই বক্তব্যের সিডিসহ আবেদনপত্রটি নির্বাচন তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।যশোর-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ও কলস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনিরুল ইসলাম যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আর রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকলেও তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।গত সোমবার ঝিকরগাছা উপজেলার পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মনিরুল ইসলামের পোলিং এজেন্টদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাংসদ আফিল উদ্দীন। এ সময় তিনি কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘মাঠ যেন ফাঁকা না হয়ে যায়। ১০০ ছেলে থাকবে প্রতিটি কেন্দ্রে। ওরা বুথে যাবে, আবার এসে লাইনের পেছনে দাঁড়াবে। ওরা বাড়ি যাবে না। ১০০ ছেলে সব সময় লাইনে থাকবে। এভাবে বুথে যাবে, আবার আসবে। লোক ও সাংবাদিকেরা এসে দেখবে যে ভোটের মাঠ ভরা। তিনি আরও বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দরকার নেই। ভোটাররা ভোট দেখতে আসবেন।’এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংসদ আফিল উদ্দীনকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। | 40,825 |
অনলাইন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৩:৪০ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৩:৪২ | টেলিভিশন | null | কুসুমের উচ্ছ্বাস! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/51788 | মডেল-টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কুসুম শিকদার অনেক বছর ধরেই মিডিয়ায় কাজ করছেন। এর মধ্যে অনেকের সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন। কিন্তু নায়করাজ-খ্যাত রাজ্জাকের সঙ্গে কোথাও অভিনয়ের সুযোগ হয়নি তাঁর। এবারই প্রথম সেই সুযোগ পেলেন তিনি। রাজ্জাকের সহশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কুসুম। ইমরাউল রাফাতের পরিচালনায় নাটকটির নাম ‘থট রিডার’। এরই মধ্যে নাটকটির শুটিং শেষ করেছেন কুসুম।প্রথম আলো ডটকমকে কুসুম বলেন, ‘সত্যিই আমি অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। অনেক চমত্কার একটি নাটক। নাটকে আমি ও রাজ্জাক আংকেল চিকিত্সকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমাদের দুজনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময় পর কিছু জটিলতা তৈরি হয়। আসলে গল্পের পুরোটা বলতেও চাচ্ছি না। এতটুকু বলতে পারি, নাটকটি দেখার পর দর্শকদের অনেক ভালো লাগবে।’কুসুম আরও বলেন, ‘আমি এমনিতে নাটকের কাজ খুব একটা করি না। গল্প, নির্মাতা এবং নিজের অভিনীত চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ থাকলে অভিনয় করতে সম্মত হই। “থট রিডার” নাটকের গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে। তাই কাজটি করতে রাজি হয়েছি। তা ছাড়া সহশিল্পী হিসেবে রাজ্জাক আংকেলের সঙ্গে অভিনয়েরও একটা ইচ্ছে পূরণ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।’উল্লেখ্য, ইমপ্রেস টেলিফিল্মস প্রযোজিত ‘লালটিপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য কুসুম শিকদার মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে যৌথভাবে সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন। | 20,575 |
বাণিজ্য ডেস্ক | economy | অর্থনীতি | ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৭ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫১ | বাণিজ্য | 0 | এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব হবে ২০১৮ সালে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1065793 | আগামী ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি শ্রেণি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এ তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। ফলে বিষয়টি বর্তমানে সরকারের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উত্তরণের এ প্রক্রিয়াকে মসৃণ ও টেকসই করার কৌশল নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলা হয়েছে। আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের কৌশল’। গত রোববার অনুষ্ঠিত এ সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ২৭ জন জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা অংশ নেন।সিপিডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ: বাংলাদেশ কি মসৃণ উত্তরণ-প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। এরপর দলগত আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বাংলাদেশের উত্তরণ-প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। মূলত উত্তরণ-প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত রূপান্তর, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজির সঙ্গে উত্তরণ-প্রক্রিয়ার সম্পর্ক, বিভিন্ন বাহ্যিক বৈরী চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উত্তরণের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিয়েই আলোচনা হয়।সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংলাপ ও যোগাযোগ পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ, গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। | 286,477 |
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৩৮ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৪০ | ঠাকুরগাঁও,রংপুর বিভাগ,অপরাধ | 0 | সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির হাতে আটক ৩ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/100870 | ঠাকুরগাঁওয়ের ধর্মগড় ও মোলানী সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় গতকাল সোমবার ভোরে কাজিরুল ইসলাম নামের এক যুবকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে আবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে একই সীমান্ত এলাকা থেকে দুই ভারতীয় যুবককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোর চারটার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার মরাধর গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে কাজিরুল ইসলাম উপজেলার ধর্মগড় ও হরিপুরের মোলানী সীমান্তের ৩৭৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকেন। সে সময় বিএসএফের কুকরাদহ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে আবার একই সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিজিবি প্রদীপ কুমার ও প্রভাত কুমার নামের দুই ভারতীয় যুবককে আটক করে।বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইকবাল হোসেন জানান, সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি আটকের প্রতিবাদ ও পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। | 36,355 |
-1 | sports | খেলা | ২৬ মার্চ ২০১৪, ০২:১৮ | ২৬ মার্চ ২০১৪, ০২:২২ | খেলা,টি ২০ বিশ্বকাপ ২০১৬ | 0 | ৪৪–২ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/177349 | আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ছয়টি ৮৮ রানের ইনিংসের তিনটিই ৪৪ বলে খেলা। | 61,126 |
তুহিন ওয়াদুদ | opinion | মতামত | ২৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৪ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৪ | মতামত,তুহিন ওয়াদুদ,লেখকের কলাম | null | নাগরিক সুবিধাবিহীন নগর রংপুর | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/130075 | রংপুরের একজন নাগরিকের জীবন যদি বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে—রংপুর বিভাগ এবং সিটি করপোরেশন হওয়ার পর তিনি বাসাভাড়া দেন আগের তুলনায় অনেক বেশি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করেন বেশি দামে, সন্তানকে স্কুলে দেবেন তার পর্যাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, শিশুকে বিনোদনকেন্দ্রে পাঠাবেন তার কোনো ব্যবস্থা নেই, শহরে সড়কপথের ভোগান্তিতে পড়তেই হবে। রাতের শহরে একটু নিরিবিলি পথে একলা চললে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার আশঙ্কা। হেডলাইট না জ্বালানো অটোরিকশায় চলতে হবে। মূল শহর ছেড়ে নগরের উপকণ্ঠে গেলেই পল্লী বিদ্যুৎ। ঘন ঘন লোডশেডিং। অসুস্থ হলেও সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে অপ্রতুল সেবা। এ রকম অযুত সমস্যা জীবনকে তিক্ত করে তোলে। যাঁরা রংপুরকে নিজেদের স্বপ্নের শহর বলে দাবি করতেন, তাঁদের হতাশ হওয়া ছাড়া আপাতত আর কোনো উপায় নেই।রংপুর এমন একটি নগর, যেখানে গ্রামীণ জীবনের সরল-সুন্দর আবহ নেই, নাগরিক জীবনের সুবিধাও নেই। নাগরিক জীবনের সুবিধা একেবারেই না থাকার কারণে রংপুরের জনজীবনের সুখশান্তি সুদূরপরাহত। প্রায় তিন বছর ধরে রংপুরের চার লেন সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি সরকার। যেটুকু অংশে চার লেনের কাজ শেষ করেছে, সেটুকু অংশের দখলদারি ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের হাতে। শহরের প্রাণকেন্দ্র প্রেসক্লাব থেকে টাউন হল পর্যন্ত দুর্বিষহ যানজট লেগে থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ নগরে নাগরিক জীবনে যে যোগাযোগব্যবস্থা থাকার কথা ছিল, তা হয়ে ওঠেনি। রংপুর সিটি করপোরেশনের আয়তন ২০৩ বর্গকিলোমিটার। নতুন-পুরোনো মিলে ৩৩টি ওয়ার্ড। পুরোনো ওয়ার্ডের অনেকগুলো রাস্তা পাকা করা হয়নি। পাকা রাস্তাগুলোর অনেকগুলো চলাচল-অযোগ্য। সড়কবাতি নেই অধিকাংশ সড়কে। সড়ক চার লেনে উন্নীত করার নামে প্রাচীন বৃক্ষগুলো কেটে ফেলা হয়েছে, কিন্তু আর রোপণ করা হয়নি। ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার। সেই কলেজে প্রবেশমুখের সড়ক এতটাই অপরিচ্ছন্ন এবং ঘিঞ্জি যে বোঝার উপায় নেই এখানে শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ রয়েছে। অথচ, ওই স্থানে মুক্তিযুদ্ধের একটি দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য হতে পারে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, জিলা স্কুল, পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ—সবখানেই একটি করে ফুটওভার পাসের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।অনেক আন্দোলন, হরতাল শেষে রংপুরকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক পৌর মেয়র, সাবেক সাংসদ শরফুদ্দীন আহমেদ নির্বাচিত হন রংপুরের প্রথম নগরপিতা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা তিনি কাজে লাগাবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর পদমর্যাদাই সুনির্দিষ্ট হয়নি। তার ওপর রাষ্ট্রীয় কাজে ঢাকা যাওয়ার পথে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি কিছুদিন ছিলেন অসুস্থ।রংপুর বিভাগীয় শহরে উন্নীত হওয়া এবং সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নের পর থেকে জনসংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত বেড়েছে। বিভাগীয় কার্যালয়ে কাজের জন্য প্রচুর মানুষ এখন প্রতিদিন আসছে। জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি হলেও তাদের জন্য পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ছিনতাই হচ্ছে, তুচ্ছ কারণকে কেন্দ্র করেও খুন হচ্ছে মানুষ। নগরায়ণের ফলে বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যার জন্য আলাদা করে থানা স্থাপনও হয়নি।রংপুরে বিনোদনের ব্যবস্থাই নেই। শিশুদের জন্যও বিনোদনকেন্দ্রের যথেষ্ট অভাব। একটি চিড়িয়াখানা, তা-ও শিশুদের জন্য অনুপযোগী। সুরভি উদ্যানটি কেবলই উপযোগী করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। রংপুরে একটি আধুনিক মিলনায়তন হওয়ার কথা ছিল। তা-ও বর্তমানে অনিশ্চিত। শিশু একাডেমী এবং শিল্পকলা একাডেমীতে যে পরিমাণে শিক্ষার্থীদের সংগীত-আবৃত্তি-চিত্রাঙ্কন শেখানো হয়, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। খেলাধুলার পরিবেশও অনেক সীমিত পর্যায়ের।রংপুর বিভাগ এবং সিটি করপোরেশন হওয়ার পর থেকে রংপুরের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে অনেক। রংপুর সিটি করপোরেশনের মধ্যে অবস্থিত সব বাড়ির মালিক কিংবা যেকোনো ব্যবসায়ীদের আগের তুলনায় অনেক বেশি কর দিতে হয়। তাঁরা সেই করের টাকা আদায় করার চেষ্টা করেন ভাড়াটে কিংবা ক্রেতাদের কাছ থেকে। যেহেতু বাড়িভাড়া আইন কার্যকর নয় এবং আগের তুলনায় আয়কর দিতে হয় অনেক বেশি, তাই তাঁরা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করেছেন অনেক। ব্যবসায়ীরাও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন। সিটি করপোরেশনের নীরবতার সুযোগ নিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই অটোরিকশার ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। নগরজীবনে ব্যয় অধিক হেতু নগরে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের নগরভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু সেই নগরভাতা না থাকার কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাপনে অনেকটাই নাভিশ্বাস উঠেছে।বিভাগীয় কার্যালয়সহ অনেক সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কার্যালয় গড়ে উঠছে রংপুরে। প্রতিদিন তাই বাড়ছে বসতি। কিন্তু, ছোট্ট জেলা শহর রংপুরের জন্য যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তা দিয়েই চলছে শিক্ষা দেওয়ার কাজ। সব বিভাগীয় শহরে রয়েছে মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কিন্তু রংপুর শহরে সেই মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নেই। সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তা এখানকার শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। সরকারি উদ্যোগে আরও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।রংপুরের নাগরিকদের নাগরিক সুবিধা প্রদান করতে চাইলে সবার আগে প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা। নতুন সিটি করপোরেশনকে সেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে প্রাথমিক অবস্থায় যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হয়, সেই পরিমাণ অর্থ সরকারকে প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে প্রাথমিক অবস্থায় ১০ বছর মেয়াদি প্রকল্প হিসেবে এ নগরকে গণ্য করে এখানে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ-পয়োনিষ্কাশন-শিক্ষা-চিকিৎসা, বিনোদনকেন্দ্র-খেলার মাঠ-নিরাপত্তা-শপিং কমপ্লেক্স-উপযুক্ত সড়ক-জিমনেসিয়ামের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকল্পটি এক কিংবা দুই ধাপে শেষ হতে পারে। তা নাহলে যখন নিজস্ব আয়ে সিটি করপোরেশন চলতে পারবে, তখনই রংপুরের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে রংপুরকে একটি মডেল নগরে পরিণত করা সম্ভব। ঢাকা শহরের মতো তিক্ত অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও আমরা যদি পরিকল্পিত রংপুর নগর গড়ে তুলতে না পারি, সেটা হবে খুবই দুঃখজনক।তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।wadudtuhin@gmail.com | 46,116 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৯ জুলাই ২০১৬, ২৩:১৫ | ১৯ জুলাই ২০১৬, ২৩:১৬ | ইউরোপ | null | তুরস্কে ১৫২০০ শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত | http://www.prothom-alo.com/international/article/919240 | তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে সরকারের ব্যাপক ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। এবার শিক্ষা বিভাগে কর্মরত ১৫ হাজার ২০০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের উচ্চ শিক্ষা বোর্ড দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শ এর বেশি ডিনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের সঙ্গে তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের যোগাযোগ রয়েছে। এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান অভ্যুত্থানের পেছনে গুলেনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। তবে ফেতুল্লাহ গুলেন সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে তাঁকে জড়ানোয় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।এর আগে গুলেনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। রয়টার্সকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনকে আর এ দেশের মাটিতে তাদের কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। আমরা তাদের মূল উৎপাটন করব যাতে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশের আশীর্বাদপুষ্ট মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে না পারে।’অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে প্রায় নয় হাজার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া শতাধিক জেনারেল, অ্যাডমিরালসহ সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ছয় হাজার সদস্য এবং প্রায় তিন হাজার বিচারক ও কৌঁসুলিকেও আটক করা হয়। | 241,243 |
রাশেদুল ইসলাম | sports | খেলা | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১১:১০ | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১৪:২১ | ফুটবল | null | বাফুফের অবহেলায়ই হারিয়ে যায় প্রতিভারা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1288711 | ‘কপাল, সবই কপাল। কাউকে দোষ দেব না। দোষটা আমার কপালের’—নিজের মনে পুষে রাখা ক্ষোভ এভাবেই প্রকাশ করল সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের নায়ক। সিলেট স্টেডিয়ামে সেই শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালের টাইব্রেকারে ভারতের সাকলায়েন খানের শটটি ঠেকিয়ে পুরো দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছিল সে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের গোলরক্ষক ফয়সাল আহমেদ ফুটবলই ছেড়ে দিয়েছে। নিজের ভবিষ্যৎ ফুটবলে দেখেনি বলেই কনস্টেবল পদে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশে। বয়সভিত্তিক দলের প্রতিভাবানরা এভাবেই দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যায় বাংলাদেশের ফুটবলে।অথচ কত উচ্ছ্বাস, কত প্রশংসা, কত প্রতিশ্রুতির মালাই না গাঁথা হয়েছিল ফয়সালদের ঘিরে। ২০১৫ সালে সাফ জয়ের পর কেটে গেছে দুটি বছর। এই দুই বছরের মাথায় ওই উচ্ছ্বাস-প্রতিশ্রুতি ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। অথচ দারুণ প্রতিভাবান কিছু ফুটবলারের দেখা মিলেছিল ষোলো বছর বয়সীদের সেই দলে। কয়েকজনকে তো মনে করা হচ্ছিল দেশের ফুটবলের ভবিষ্যতের তারকা। আশা ছিল, প্রতিভাবান সেই ফুটবলাররা দেশের ফুটবলের জন্য নতুন সূর্যোদয় এনে দেবে। দুই বছর না পেরোতেই তারা হারিয়ে গেল। কে রাখবে তাদের খবর, কে করবে তাদের পরিচর্যা—বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন? এটা করতে বাফুফের বয়েই গেছে!বাফুফে ভবনে আজ পরবর্তী সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ডামাডোলের মধ্যে মিশে ছিল চাপা আক্ষেপ। নেপালে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী আসরের জন্য বাংলাদেশের নতুন একটি দল তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই দলটির প্রতিভাবানদের ভবিষ্যৎ কী! বারবারই যে মনে পড়ে যায় ২০১৫ সালে সাফ জয়ী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সাদউদ্দিন, সারোয়ার জামান নিপু, জুনায়েদ খান কিংবা ফয়সাল মাহমুদদের মুখগুলো। বাফুফে সে সময় বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেই প্রতিশ্রুতির একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তী চার বছর ধরে দলটিকে একসঙ্গে রেখে, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া কথা থাকলেও বাফুফের কর্তারা তা বেমালুম চেপেই গেছেন। নতুন গঠিত অনূর্ধ্ব-১৬ দলটির ক্ষেত্রেও যে একই ব্যাপার ঘটবে না—জোর গলায় কিন্তু তা বলা যাচ্ছে না।সাফ বিজয়ী সেই অনূর্ধ্ব-১৬ দলের প্রতিভাবানরা কেমন আছে? কোথায় আছে? সবাই যে একেবারে হারিয়ে গেছে, সেটি অবশ্য বলা যাবে না, দু-একজন ফুটবলকেই ভবিষ্যতের জীবন বানানোর জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সেই সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। বিকেএসপির ছাত্রদের বাইরে মাত্র তিনজন খেলোয়াড়কেই খুঁজে পাওয়া যায় ফুটবলের আঙিনায়—সাদউদ্দিন, আতিকুর রহমান ও সারোয়ার জামান নিপু। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো আছে সাদই। আবাহনীর প্রথম একাদশেরই খেলোয়াড় সে। তবে আবাহনীতেই বেঞ্চে বসে কাটছে আতিকের জীবন। শেখ জামালে সারোয়ার জামান নিপুর অবস্থাও খুব ভালো নয়। জুনায়েদ খান শাওন গত মৌসুমে ব্রাদার্সে খেললেও এবার তিনি খেলছেন না। ফোনে এই প্রতিবেদক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান।অথচ এই নিপুই সাফে কী দুর্দান্ত ফুটবলই না খেলেছে। দ্রুতগতিসম্পন্ন, অসম্ভব প্রতিভাবান এই কিশোর ফুটবলারের খেলা দেখে মুগ্ধতা ঝরেছিল সবার দৃষ্টিতে। তার গোল করার সহজাত ক্ষমতা দেখে বাফুফের কর্তারাও বড় গলায় বলেছিলেন, নিপুর আবির্ভাবে নাকি স্ট্রাইকার সমস্যা কেটে গেছে বাংলাদেশের। অবস্থাপন্ন পরিবারের এই ছেলে কেবল ফুটবল নিয়ে থাকতে চায়। কিন্তু হতাশাচ্ছন্ন হয়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার কথাও ভেবেছিল সে। শেষ চেষ্টা হিসেবে শেখ জামালে নিজে থেকে যোগাযোগ করে আসাতেই রক্ষা। ফুটবলটা এখনো খেলতে পারছে সে, ‘আমার টাকার কোনো দরকার নেই। আমি বড় খেলোয়াড় হতে চাই। বাফুফে যদি অনুশীলনটা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিত! আমার ওটাই দরকার ছিল। কিন্তু বাফুফে সে দায়িত্বটা নিল না।’সেদিক দিয়ে সাদ নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করে। হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপার ঘটেনি। আবাহনীতে সুযোগ মিলেছে। সেখানে যোগ্যতার প্রমাণও রেখে জায়গা করে নিয়েছ প্রথম একাদশে। পারফরম্যান্সও খারাপ নয়। কিন্তু সাদের কষ্টটা ওর সতীর্থদের জন্যই, ‘দলটা একসঙ্গে রাখা উচিত ছিল। স্কোয়াডে প্রতিভার অভাব ছিল না। দলটাকে দুই বছর ধরে একসঙ্গে রেখে উন্নত প্রশিক্ষণ দিলে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলে আমরা খুব ভালো করতাম। অথচ দেখুন, কেউ আমাদের গাইডই করল না। কোনো সুযোগ পেল না অনেকেই। সেদিক দিয়ে আমি ভাগ্যবান। আবাহনীর মতো দলে তো খেলতে পারছি!’বাফুফে কেবল এই ফুটবলারদের প্রতিভাকে অঙ্কুরেই শেষ করে দেয়নি, তাদের সঙ্গে প্রতারণাও করেছে। ২০১৫ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য গোটা দলের জন্য যে পাঁচ লাখ টাকার বোনাস ঘোষিত হয়েছিল, সাদ-নিপু-ফয়সালরা পায়নি সেখান থেকে একটি টাকাও।সারা দুনিয়াতে জাতীয় দলের পেছনে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দল থাকে। সময়ের আবর্তে সেই বয়সভিত্তিক দলের ফুটবলাররাই জাতীয় দলে বড়দের শূন্যস্থান পূরণ করে। কিছুদিন আগে বাফুফে সভাপতি ‘আমার হাতে কোনো জাতীয় দল নেই’ বলে যে খেদোক্তি করেছিলেন, সেটিকে অনেকেই স্ববিরোধিতা বলছেন। কারণ, বাফুফেই ভবিষ্যতের তারকা তৈরির কোনো চেষ্টা চালায়নি। গত আট বছরে বেশ কয়েকটি বয়সভিত্তিক দলের ভিত্তি দাঁড়ালেও সেই প্রতিভাদের বিকাশে কোনো উদ্যোগই নেয়নি তারা। ২০১৫ সালে সাফ জয়ী অনূর্ধ্ব-১৬ দলটিকে একসঙ্গে রেখে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে এই দলটির খেলোয়াড়েরাই অভিজ্ঞ হয়ে উঠত। অনূর্ধ্ব-১৬-র পর অনূর্ধ্ব-১৮, অনূর্ধ্ব-২৩ হয়ে একসময় দুর্দান্ত একটা জাতীয় দল হয়ে উঠত।দুই বছর আগে সিলেটে বাংলাদেশের কাছে হেরে যাওয়া ভারতের অনূর্ধ্ব-১৬ দলটির পাঁচজন ফুটবলার আগামী অক্টোবরে ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে মাঠে নামবে। সেই প্রতিযোগিতার নেপালি দলটি নাকি নেপাল সেনাবাহিনীর জুনিয়র দল হিসেবে একসঙ্গেই রয়েছে। মালদ্বীপও এর ব্যতিক্রম নয়, কিন্তু ব্যতিক্রম কেবল বাংলাদেশই। বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনের অবহেলায় হারিয়ে যায় ফুটবল প্রতিভারা।তবে ভবিষ্যতে বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হবে বলে জানান বাফুফের কোচেস এডুকেশন সমন্বয়কারী জোবায়ের নিপু, ‘যেকোনো কারণেই হোক আমরা প্রতিভাবান ফুটবলারদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প করতে পারিনি। তবে এখন থেকে এগুলো হবে। আমাদের শীর্ষ কর্মকর্তারা বয়সভিত্তিক ফুটবল নিয়ে বেশ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে ভালো কিছুই হবে ’হলেই ভালো। কিন্তু গত আট বছরের অভিজ্ঞতা যে খুব আশাবাদী হতে দেয় না। | 332,646 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, ০৯:২৫ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, ১৭:৪৩ | এশিয়া | 0 | বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/international/article/744376 | বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ জাপানের ইয়াসুতারো কোইদে মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ১১২ বছর। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ১৯০৩ সালের ১৩ মার্চ জন্ম নেওয়া কোইদে জাপানের নাগোয়া শহরে মারা যান। তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।কর্মকর্তাদের ভাষ্য, হৃদ্রোগ ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে আজ সকালে মারা যান কোইদে।জীবদ্দশায় কোইদে বলেছিলেন, তাঁর দীর্ঘ আয়ুষ্কালের মূলে রয়েছে—ধূমপান ও মদ্যপান না করা। মাত্রাতিরিক্ত কিছু না করা। আনন্দের সঙ্গে বসবাস করা।কোইদের মুত্যুর পর কে হচ্ছেন তাঁর উত্তরাধিকারী, তা এখনো স্পষ্ট নয়। | 193,606 |
সুনামগঞ্জ অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৩ | ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৪ | সুনামগঞ্জ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | বিয়ের এক দিন পর শ্বশুরবাড়িতে খুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1002269 | বিয়ের এক দিন পর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হয়েছেন এক জামাতা। সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামে গত রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত যুবকের নাম সুহেল আহমদ (৩০)। তিনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়ার ছেলে। তাঁকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে পুলিশ পাথারিয়া গ্রামের আসকর আলীর ছেলে শাহীন মিয়াকে (৩১) আটক করেছে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার পাথারিয়া ইউনিয়নের শামসুল আলমের মেয়ে জহুরা বেগমের (২১) সঙ্গে সুহেল আহমদের বিয়ে হয়। সুহেল পরদিন স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। রোববার সন্ধ্যায় সুহেল স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় শাহীন মিয়া দা দিয়ে সুহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে সুহেলকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।কনের বাবা শামসুল আলম জানান, তাঁরা মেয়ে ও মেয়ের স্বামীকে বিদায় দেওয়ার সময় শাহীন হঠাৎ করেই সুহেলকে দা দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। কী কারণে শাহীন এটা করেছেন তাঁরা বুঝতে পারছেন না। সুহেল আহমদের বড় বোনের স্বামী আবু আলী অভিযোগ করেন, কনের মা-বাবাকে সালাম করার পর তাঁর দাদিকে সালাম করার সময় মাথা নোয়াতেই শাহীন সুহেলকে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা জানতে পেরেছি, শাহীন মিয়া জহুরা বেগমের ফুফাতো ভাই। তাঁর সঙ্গে জহুরার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁর সঙ্গে জহুরাকে বিয়ে না দেওয়ার কারণেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এই কাজ করেছেন।’পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় এলাকার মানুষ বিস্মিত।এ বিষয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। শাহীন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। | 257,005 |
রাজশাহী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ জুন ২০১৭, ২২:৪৪ | ০৮ জুন ২০১৭, ২২:৪৭ | রাজশাহী বিভাগ | null | রাজশাহীতে বিয়ে করলেন মডেল রাউধার বাবা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1210256 | রাজশাহীতে মারা যাওয়া মালদ্বীপের মডেল ও ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রাউধা আথিফের বাবা মোহাম্মদ আথিফ বিয়ে করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর আদালতে তিনি বিয়ে করেন।আথিফের স্ত্রীর নাম কনকলতা (৩০)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পিল্লাপাড়া এলাকার বদিউজ্জামানের মেয়ে।রাজশাহীতে মোহাম্মদ আথিফের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে, পেশায় চিকিৎসক আথিফ বিয়ের পর শহরের লক্ষ্মীপুরে প্যারামেডিকেল কলেজের সামনে তাঁর স্ত্রীর ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। তিনি সেখানেই থাকবেন। রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা এলাকার এক যুবক দীর্ঘদিন মালদ্বীপে ছিলেন। তাঁর সূত্র ধরেই কনকলতাকে আথিফ বিয়ে করেছেন বলে ওই ঘনিষ্ঠজনের দাবি।আদালতে দেওয়া কাগজপত্রে দেখা যায়, বিয়েতে আথিফের মালদ্বীপের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বুলুকিয়া মেজো/১, মালদ্বীপ। রাজশাহী নগরের উপরভদ্রা এলাকাকে রাজশাহীর ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর ঠিকানা সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় বিয়ের নিবন্ধন এখনো হয়নি। তবে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রোববার আথিফকে আদালতে হাজির হয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।গত ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে নগরের শাহ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। মেয়ের মৃত্যুর খবরের পরে রাজশাহীতে আসেন মোহাম্মদ আথিফ। এরপর তিনি আদালতে হত্যা মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর পর থেকে তিনি রাজশাহীতেই অবস্থান করছেন। | 322,174 |
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০৩:৩১ | ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০৩:৩২ | বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | কাহালুর এক ইউপিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1007799 | বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মমতাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য সরকারের দেওয়া ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নামে এ চালের কার্ড বরাদ্দ দিয়ে মমতাজ মূলত নিজে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার জানা যায়, ফকিরপাড়া গ্রামে ইটের দোতলা বাড়ি ছালমা বেগমের। ছয় মাস আগে ছালমা বেগম (৪২) বিদেশে গেছেন। স্বামী মনজুর আলী মাদকাসক্ত। সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন। বাড়িতে থাকে এ দম্পতির ছেলে মাদ্রাসায় পড়ুয়া আবু সাঈদ (১৯)। এই ছালমা বেগমের নামে ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড দিয়েছেন মমতাজ উদ্দিন। কার্ড নম্বর ৯। সংশ্লিষ্ট ডিলার এ কার্ডে দুবার চালও দিয়েছেন বলে জানা যায়। কিন্তু ছালমা বেগমের পরিবার চাল পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।ছালমা বেগমের ছেলে আবু সাঈদ বলেন, তাঁদের পরিবারকে চাল দেওয়া হবে বলে মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিয়ে যায় গ্রামের একটি ছেলে। তালিকায় তাঁর মায়ের নামে কার্ড হয়েছে দেখা গেলেও তাঁরা কার্ড পাননি। বিষয়টি আবু সাঈদ মমতাজ উদ্দিনকে জানান। কিন্তু তিনিও (সদস্য) কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান।একই অভিযোগ ওই গ্রামের ৫ নম্বর কার্ডধারী শহিদুল ইসলামসহ একই ওয়ার্ডের আড়োবাড়ি গ্রামের আরও চারজনের। আড়োবাড়ি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাঁর নামেও সরকারের ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণের কার্ড করা হয়েছে। তালিকায় তাঁর নাম আছে ১২ নম্বরে। এ পর্যন্ত দুবার চাল বিতরণ করা হলেও তিনি একবারও কোনো বরাদ্দ পাননি। একই অভিযোগ করেন এ গ্রামের নুরুন্নবী মণ্ডল (কার্ড নম্বর ১৪), রুহুল আমিন (কার্ড নম্বর ১১) ও আমেনা বিবি (কার্ড নম্বর ৫২)। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, এ গ্রামের সাইফুল ইসলামের মাটির দোতলা বাড়ি ও সাত-আট বিঘা জমি আছে। বাড়ির সঙ্গে লাগানো মুদি দোকান রয়েছে। নিজের মোটরসাইকেলও আছে। তাঁর নামে কার্ড দিয়েছেন ইউপি সদস্য।তালিকায় নাম থাকার পরও বরাদ্দ না পেয়ে বঞ্চিত ব্যক্তিরা ১০ অক্টোবর ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেন। ইউএনও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। পরে ওই ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।মমতাজ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘গ্রামের গরিবদের নামে কার্ড করে দিয়েছি। কার্ডগুলো প্রতিনিধির মাধ্যমে বিলি করেছি। নিজের লোকজনই আমার ক্ষতির জন্য কিছু কার্ড অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য করেছে। আবার কাউকে কাউকে বরাদ্দ দেয়নি। তবে কার্ডগুলো এখনো উদ্ধার করতে পারিনি।’দুর্গাপুর ইউপির চেয়ারম্যান শাহ মো. মাসুদ হাসান বলেন, ‘ইউপি সদস্যরা এসব তালিকা করেছেন। তালিকা অনুযায়ী কার্ডগুলো হতদরিদ্রের মাঝে তাঁদেরই পৌঁছে দেওয়ার কথা। যখন আমার কানে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, সঙ্গে সঙ্গে ওই সদস্যকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছি।’কাহালু উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, উপজেলায় ৮ হাজার ৩৩৪ জন হতদরিদ্রকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ১৮ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া আছে। যদি কোনো ইউনিয়নে তালিকা তৈরিতে অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে আবার সংযোজন-বিয়োজনের জন্য নিজ নিজ ইউপি চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তদারক কমিটির সভাপতি ও ইউএনও আরাফাত রহমান মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অনিয়ম পাওয়া গেলে নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 259,369 |
-1 | sports | খেলা | ২৬ নভেম্বর ২০১৩, ০২:২৩ | ২৬ নভেম্বর ২০১৩, ০৩:১৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | ঘরে বাঘ, বাইরে বেড়াল! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/83107 | ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি কিছুতেই ব্যাপারটা ধরতে পারছেন না। ঘরের মাঠে এমন দুর্দান্ত খেলছে ম্যানচেস্টার সিটি, অথচ প্রতিপক্ষের মাঠে গেলেই কেন হোঁচট? পরশুর ম্যাচে যে সিটিকে দেখা গেল, তেমন খেলতে পারলে বাকিদের পাত্তাই পাওয়ার কথা নয়। যে টটেনহাম আগের ১০ ম্যাচে খেয়েছিল মাত্র ৬ গোল, সিটির সঙ্গে ম্যাচের পর সেই সংখ্যাটা হয়ে গেল দ্বিগুণ! কিন্তু দারুণ খেলার পরের ম্যাচেই হোঁচট খাওয়ার ‘কীর্তি’ যে সিটি বারবারই করে দেখিয়েছে এই মৌসুমে!ম্যানচেস্টার ডার্বির কথাই ধরুন। ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে হারিয়ে সিটি উড়ছিল আকাশে। কিন্তু পরের ম্যাচেই একেবারে পপাত ধরণিতল, অ্যাস্টন ভিলার মাঠে গিয়ে বসল হেরে। চার ম্যাচ পরই আবার নরউইচকে উড়িয়ে দিল ৭-০ গোলে। পরের ম্যাচে হেরে বসল তলানির দল সান্ডারল্যান্ডের কাছে। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে এই মৌসুমে জয় মাত্র একটি, ড্র একটি। বাকি চার ম্যাচেই হার। আর নিজেদের মাঠে ছয় ম্যাচে করেছে রেকর্ড ২৬ গোল! অন্য কোনো ক্লাব ঘরে-বাইরে মিলিয়েও এত গোল দেয়নি!কারণটা বোঝার চেষ্টা করছেন সিটি কোচ পেলেগ্রিনি, ‘আমি মনে করি না আমরা প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে একদম অন্য রকম খেলি। স্বাগতিকদের চেয়ে আমরাই বেশি সুযোগ পাই। বল দখলেও খুব পিছিয়ে থাকি না। কিন্তু নানা কারণে যে ফলটা আমরা চেয়েছিলাম সেটা পাইনি। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, যদি আমরা এ রকম খেলতে থাকি, তাহলে প্রতিপক্ষের মাঠে ভালো ফল পাব।’ টটেনহামের সঙ্গে দল কতটা ভালো খেলেছে সেটা বোঝাতে গিয়ে বললেন, ‘আজ যেমন খেললাম তার চেয়ে ভালো খেলা অসম্ভব।’সিটি জিতলেও পরশু কার্ডিফের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ফল-টল বাদ দিয়ে ম্যাচ শেষে দুই কোচকেই বেশি কথা বলতে হয়েছে অন্য প্রসঙ্গে। খেলার ৭ মিনিটে কার্ডিফ মিডফিল্ডার জর্ডন মাচকে পেছন থেকে লাথি মেরেছেন ওয়েইন রুনি। কিন্তু রেফারি রুনিকে হলুদ কার্ড দেখান। খানিক পর রুনিই করেন ইউনাইটেডের প্রথম গোলটা। স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার মার্টিন টাইলার ও বিশ্লেষক গ্রায়েম সাউনেস পরে বলেন, লাল কার্ডটাই প্রাপ্য ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকারের।ইউনাইটেড কোচ ডেভিড ময়েস আবার তা মানেন না, ‘আমার মনে হয় না এটা হলুদ কার্ডের চেয়ে বেশি কিছু।’ ময়েস না হয় রুনির পক্ষে দাঁড়াতেই পারেন, কার্ডিফ কোচও রেফারিকেই ঠিক মনে করছেন, ‘অনেকেই হয়তো লাল কার্ড দেখাতেন। কিন্তু আমার মনে হয় রেফারি পুরো ম্যাচটা ভালোই সামলেছে।’পরে রুনি টুইটারে ধুয়ে দিয়েছেন স্কাই স্পোর্টসের দুই বিশেষজ্ঞকে। এতটাই খেপেছেন, সাউনেস বানানটা ইচ্ছে করে লিখেছেন ‘সোরনেস’! এএফপি ও ওয়েবসাইট। | 30,857 |
প্রথম আলো ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০১ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:২৮ | ০১ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৩২ | জীবনধারা,গবেষণা | 0 | রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে চলচ্চিত্র! | http://www.prothom-alo.com/technology/article/112551 | আবেগ বা ভাবালুতায় পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র মানুষের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে এবং তুলনামূলক উদার মানসিকতা গড়ে তোলে। এ ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের প্রভাব কোনো প্রচারপত্র বা সংবাদ প্রতিবেদনের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। মার্কিন গবেষকেরা এমনটিই দাবি করছেন।সোশ্যাল সায়েন্স কোয়ার্টারলি সাময়িকীতে এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নটর ডেমের শিক্ষক টড অ্যাডকিনসের নেতৃত্বে একদল রাজনীতিবিজ্ঞান গবেষক সেখানকার ৩০০ ছাত্রছাত্রীর ওপর জরিপ চালান। এতে তাঁরা যাচাই করে দেখার চেষ্টা করেন, রাজনৈতিক আদর্শসংবলিত জনপ্রিয় বিভিন্ন হলিউড চলচ্চিত্র মানুষের জীবনে কী রকম প্রভাব ফেলে। ওই শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতার তথ্য সংগ্রহের পর তাঁদের প্রত্যেককে নির্দিষ্ট কয়েকটি চলচ্চিত্র দেখানো হয়। পরে তাঁদের আবারও কিছু প্রশ্ন করে দৃষ্টিভঙ্গি বা মনোভাবে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অত্যন্ত প্রভাবশালী।প্রাথমিক জরিপের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে ভাগ করে প্রত্যেক দলকে একটি করে তিনটি পৃথক চলচ্চিত্র দেখতে দেওয়া হয়। ছবিগুলো হলো রাজনৈতিক বার্তাবিহীন চলচ্চিত্র কন্ট্রোল এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তাসংবলিত চলচ্চিত্র অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস এবং দ্য রেইনমেকার। শেষ দুটি চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী যথাক্রমে জ্যাক নিকলসন ও ম্যাট ডেমন তাঁঁদের অসাধারণ অভিনয়শৈলী দিয়ে সূক্ষ্মভাবে রাজনৈতিক বার্তা তুলে ধরেন।টড অ্যাডকিনস বলেন, রাজনৈতিক বার্তাসংবলিত চলচ্চিত্র মানুষের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে অনেকটাই বামপন্থী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। ফলে ওই দর্শকের মধ্যে উদার মনোভাব গড়ে ওঠে। কারণ, চলচ্চিত্র দেখার সময় প্রায় সবাই কেবল উপভোগের দিকে গুরুত্ব দেয়, বিশেষ কিছু শেখার প্রতি নয়। ফলে অবচেতনে তারা অনেক বিষয় আত্মস্থ করে, যার প্রভাব হয় সচেতন অবস্থার চেয়েও বেশি কার্যকর। আর চলচ্চিত্রের প্রভাবে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা মনোভাবে যে পরিবর্তন আসে, তা বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। ইনডিপেনডেন্ট। | 40,311 |
হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক, ঢাকা | entertainment | বিনোদন | ২০ আগস্ট ২০১৮, ১২:৫৪ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ১২:৫৭ | টেলিভিশন | 0 | ঈদ নিয়ে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1554369 | ঈদের আর মাত্র এক দিন বাকি। দেশের সব টিভি চ্যানেল ঈদের অনুষ্ঠানমালা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। নাটক, টেলিছবি ও নিজস্ব অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তের সম্পাদনা ও কাটছাঁটের কাজ নিয়ে সময় কাটাচ্ছে তারা। একদিকে চলছে শেষ মুহূর্তের সম্পাদনা, অন্যদিকে এখনো চলছে শুটিং। আগামীকাল ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে শুটিং।ঈদের নাটক ও অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা নিয়ে এনটিভির অনুষ্ঠানপ্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ বললেন, ‘ঈদুল আজহায় সময় খুব কম পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনামাফিক সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আমাদের নিজস্ব প্রযোজনায় ১৪টি অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে। এর মধ্যে আজ (গতকাল রোববার) অবধি ১২টি অনুষ্ঠান নির্মাণ শেষ হয়েছে। বাকি দুটি ঈদের আগেই শেষ হয়ে যাবে। এ ছাড়া ঈদের নাটকও বেশির ভাগ আমাদের হাতে চলে এসেছে। কিছু সম্পাদনার কাজ চলছে।’তবে এখনো ঈদের নাটকের শুটিং করছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। আজ উত্তরায় শুটিং করবেন পার্টনার নামে একটি নাটকের। এতে অভিনয় করবেন সাবিলা নূর। এই নির্মাতা বললেন, ‘নাটকটির শুটিংয়ের পরপরই সম্পাদনা শুরু করব। তারপর প্রচার। ঈদের পঞ্চম দিন এটি প্রচারিত হবে। তাই ঠিকঠাকভাবে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।’নাটক সম্পাদনা নিয়ে ব্যস্ত আছেন তরুণ নির্মাতা মিজানুর আরিয়ান। এবার তাঁর দুটি নাটক প্রচারিত হবে। দুটিই আছে সম্পাদনার টেবিলে। বললেন, ‘ঈদের সময় সবাই খুব ব্যস্ত থাকে। আমি দুটি নাটকের এডিটিং করছি দুটি জায়গায়। একটা সকালে, আরেকটার কাজ চলছে রাতে।’ জানালেন, এবারের ঈদে তাঁর নির্মিত ফেসবুক ছাড়ার ছয়টি উপায় ও শোক হোক শক্তি নামে দুটি নাটক প্রচারিত হবে।ঈদের শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা নিয়ে আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব বললেন ‘আমাদের চারটা চাংকে এক ঘণ্টার নাটক, একটা চাংকে টেলিছবি ও তিনটি ধারাবাহিক প্রচারিত হবে। এ ছাড়া সিনেমা ও নিজেদের অনুষ্ঠান রয়েছে। সবই গোছানো শেষ।’এদিকে ঈদের এক দিন আগে অর্থাৎ আজ সোমবারও শুটিং করবেন অভিনেত্রী মেহ্জাবীন। জানালেন, নির্মাতা কাজল আরেফিনের নাটকের শুটিং বাকি আছে। আজ উত্তরায় শুটিং করবেন, শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।ঈদের নাটকের শুটিং হবে ঈদের পরদিনও! অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার শুটিং করতে হবে নির্মাতা তপু খানকে। বললেন, ‘আমার ঈদের আগেই শুটিং করার তারিখ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে অভিনেতা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় শুটিং পিছিয়ে দিতে হয়েছে। আমরা ঈদের পরদিনও শুটিং করব।’সব মিলিয়ে শুটিংয়ের চেয়ে নির্মাতারা এখন ব যস্ত আছেন নাটক সম্পাদনার কাজে। শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা নিয়ে মাছরাঙা টিভির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) আরিফুর রহমান বললেন, ‘আমাদের কিছু নাটকে শেষ মুহূর্তের সংশোধন করা হচ্ছে। কিছু একেবারে ঠিকঠাক। আরও কিছু আছে প্রিভিউতে। নিজেদের কিছু অনুষ্ঠান এখনো আছে সম্পাদনার টেবিলে। আশা করছি, সবকিছু ঠিকমতো প্রচারিত হবে।’ | 374,244 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০৩:১২ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০৩:১২ | -1 | 0 | পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/416599 | ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গত রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ওই দিন রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কমর্সূচি পালন করা হয়।দিবসটি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩ জানুয়ারি থেকে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার, ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শন ও ওয়াজ মাহফিল। আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে ঢাকায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠিত হয়। দেওয়ানবাগ শরিফের উদ্যোগে আশেকে রাসূল (সা.) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া আশেকানে মাইজভান্ডারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি পার্টিসহ আরও কয়েকটি সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে।প্রায় ১ হাজার ৪০০ বছর আগে এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমেনার কোলে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী। তাই তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল মুসলমানদের কাছে পবিত্র দিন। মুসলমানরা প্রতিবছরই দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটি পালিত হয়। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। | 104,351 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ মার্চ ২০১৭, ০১:১৬ | ০৪ মার্চ ২০১৭, ০২:৫০ | মহানগর | 0 | কীর্তিমতী সম্মাননা পেলেন তিন নারী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1096621 | নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য তিন কৃতী নারী পেয়েছেন ‘রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা-২০১৬’। এই তিন নারী হলেন সাংবাদিকতায় লাইলী বেগম, হিতৈষী শাখায় মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক রমা চৌধুরী আর ব্যবসায় উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন নারী কৃষক নুরুন্নাহার বেগম।৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এই তিন নারীকে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড সম্মাননা দিয়েছে। এই তিন নারীর কীর্তি হলো—লাইলী বেগম সংগীত শিক্ষা, কৃষি যোগাযোগব্যবস্থা এবং অবহেলিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযুদ্ধ নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন। নিজের লেখনীর মাধ্যমে একক সংগ্রামে দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতার বাণী পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন রমা চৌধুরী। আর পাবনার ইশ্বরদীতে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনকারী নুরুন্নাহার বেগম। তিনি জাতীয় স্বর্ণপদকও পেয়েছেন।অনুষ্ঠানের এই তিন কীর্তিমতীর হাতে ক্রেস্ট ও ১ লাখ টাকা করে তুলে দেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ-এর সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকার সভাপতি নিহাদ কবির এবং বেসরকারি সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান করভি রাখশান্দ।অঞ্জন চৌধুরী স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, এ ধরনের সম্মাননা ভবিষ্যতে নারীদের আরও উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি বলেন, স্কয়ারে ২৫ শতাংশ কর্মী নারী। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে সহায়তা করতে হবে, নারীদের পাশে থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, নিহাদ কবির প্রমুখ। সংগীত পরিবেশ করেন তপন চৌধুরী। | 299,373 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ৩০ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৬ | ৩০ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৭ | খেলা | 0 | মোহামেডান দাবা টুর্নামেন্ট শুরু | http://www.prothom-alo.com/sports/article/205204 | শতাধিক খুদে দাবাড়ুর পদচারণে মুখরিত মোহামেডান মিলনায়তন। পাশেই বসা অভিভাবকেরা। খুদে দাবাড়ুরা অনুশীলন নিয়ে ব্যস্ত।মোহামেডানের উদ্যোগে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক স্কুল দাবায় কাল ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে পাঁচজন দাবাড়ু এলেও নেপালের কেউ আসেনি।ভিসা জটিলতার কারণে ওদের আসতে দেরি। কাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন তিন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, আবদুল্লাহ আলরাকিব ও এনামুল হোসেন রাজীব। আগামীর দাবাড়ুরা শুনল দেশসেরা দাবাড়ুদের কথা। জিয়াউর রহমান বললেন, ‘এমন টুর্নামেন্টনিয়মিত আরও বেশি আয়োজন করা উচিত। তাহলেই ভবিষ্যতে বেশি বেশি দাবাড়ু বেরিয়ে আসবে।’ | 69,746 |
-1 | sports | খেলা | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২০ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২২ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,খেলা | 0 | নতুন যুগের শুরু স্পেনের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/315139 | বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্ন ভোলানো জয়? না, সেটা বলা যাবে না। বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স যেমনই হোক, স্পেন ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এবং এত কিছুর পরেও ফিফা র্যা ঙ্কিংয়ে তাদের সর্বশেষ অবস্থান সাতে। এই স্পেন ফিফা র্যা ঙ্কিংয়ের ৭৬ নম্বরে থাকা মেসিডোনিয়ার সঙ্গে বড় ব্যবধানে না জিতলে সেটাই বরং বিস্ময়কর হতো।সিওতাত দে ভ্যালেন্সিয়া স্টেডিয়ামে ৫-১ গোলের বিশাল জয়টা স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আসলে অন্য কারণে। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই স্পেনের একটা সোনালি প্রজন্মের শেষ দেখছেন অনেকে। সেটিকে পেছনে রেখে কোথাও না কোথাও থেকে তো নতুন করে শুরু করতে হবে। মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে জয় নতুন করে শুরু করার প্রথম ধাপ। একই সঙ্গে ইউরোর বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা জেতার স্বস্তিও।সেই একই স্বস্তি ইংল্যান্ডের কোচ রয় হজসনেরও। ড্যানি ওয়েলবেকের জোড়া গোলে সুইজারল্যান্ডকে তাদেরই মাঠে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে বাছাইপর্বে শুভসূচনা করেছে তাঁর দলও। ‘ই’ গ্রুপে এ দুটি দলের সঙ্গী অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ স্লোভেনিয়া, এস্তোনিয়া, সান মারিনো আর লিথুয়ানিয়া। চূড়ান্ত পর্বের জায়গার লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দেওয়ায় একটু ফুরফুরে থাকতেই পারেন হজসন।বিশ্বকাপ থেকে প্রথম রাউন্ডেই বিদায়ের পর গত সপ্তাহে ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও হেরেছিল স্পেন। তবে বিশ্বকাপের পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই জয়টাকে নতুন যুগের সূচনা বলেই মনে করছেন স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক, ‘আমরা এক ধাপ সামনে এগিয়েছি। আমরা নতুন একটা যুগের সূচনা করতে যাচ্ছি এবং আশা করি, সামনে আরও অনেক কিছু আসছে।’শুরুটা নতুন যুগের। তবে পরশু ম্যাচে দেল বস্কের একাদশের ১০ জনই কিন্তু ছিলেন স্পেনের বিশ্বকাপ দলেও। একমাত্র নতুন মুখ ভ্যালেন্সিয়ার ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার পাকো আলক্যাসার। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জাতীয় দলে অভিষেকের ১৭ মিনিটের মধ্যেই যিনি প্রথম গোলটাও পেয়ে গেছেন। সঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে ৭০তম ম্যাচে এসে সার্জিও বুসকেটসের প্রথম গোল, বদলি হিসেবে নেমে বার্সেলোনার মরোক্কান বংশোদ্ভূত ফরোয়ার্ড মুনির এল হাদ্দাদির দারুণ অভিষেক, নতুন ভূমিকায় সেস্ক ফ্যাব্রিগাস আর ডেভিড সিলভাদের দারুণ পারফরম্যান্স—নতুন যুগের আভাস থাকল এমন আরও অনেক কিছুতেই। দেল বস্ক অবশ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন জয় দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করাটাকেই, ‘আমরা তিন পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছি, খুব ভালো খেলেছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের পর আমরা কিছুটা সুখ্যাতি হারিয়েছি। ধীরে ধীরে সেটাও ফিরে পেতে হবে।’বিশ্বকাপের হতাশা পেছনে ফেলে নিজেদের কিছুটা ফিরে পাওয়ার দাবি এখন ইংল্যান্ডও করতেই পারে। গত সপ্তাহে প্রীতি ম্যাচে নরওয়েকে হারিয়েছে হজসনের দল। পরশু যাদের হারাল, সেই সুইজারল্যান্ড গত প্রায় চার বছর দেশের মাটিতে হারেনি। সর্বশেষ পরাজয়টাও এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই, ২০১০ সালের অক্টোবরে। যেটি বাড়তি উচ্ছ্বাসের কারণ হয়েছে হজসনের, ‘সুইজারল্যান্ড তো সাধারণত নিজের মাঠে হারে না। আমাদের এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’গত পরশু ইউরো বাছাইপর্বেই দেশের হয়ে শততম ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন সুইডিশ স্ট্রাইকার ইব্রাহিমোভিচ। নিজে হলুদ কার্ড দেখায় এবং দল অস্ট্রিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্র করে পয়েন্ট হারানোয় উপলক্ষটা ঠিক স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি পিএসজি স্ট্রাইকার। এএফপি, রয়টার্স। | 92,018 |
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:১০ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:১০ | বিশাল বাংলা | 0 | ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে নির্যাতন, থানা ঘেরাও | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/826117 | বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের উত্তরবাহিনী মহাশ্মশানের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দাসকে (৩৫) পুলিশের নির্যাতন ও থানায় আটক রাখাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে লাঞ্ছনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা গতকাল রোববার প্রায় আড়াই ঘণ্টা শেরপুর থানা চত্বর ঘেরাও করে রাখে।ওই শ্মশান সংস্কারের জন্য গতকাল দুপুরে পার্শ্ববর্তী করতোয়া নদী থেকে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু তোলার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন শ্মশান কমিটির লোকজন। পরে তা স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় লোকজন উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ও ভাঙচুর করেন বলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরুজুল ইসলাম দাবি করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেছিলেন এই ভূমি কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম।পুলিশের নির্যাতনের শিকার চন্দন কুমার দাস ওই শ্মশান কমিটির নেতা হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।থানা ঘেরাওয়ের ঘটনায় গতকাল বেলা তিনটায় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুজ্জামান ফারুকী শেরপুর থানায় যান। তিনি দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির আশ্বাস দিলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থানা চত্বর ত্যাগ করেন। বিকেল পৌনে চারটায় চন্দন কুমারকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।পুলিশি নির্যাতনে আহত শহরের উত্তর সাহাপাড়ার বাসিন্দা রতন কর্মকার বলেন, প্রতিবছরই বন্যায় শ্মশানটি ভাঙে। তাই কয়েক দিন আগে শ্মশান কমিটির সভায় পাশের করতোয়া নদী থেকে বালু তুলে শ্মশানটি সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ জন্যই নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছিল। বালু তোলার কথা মৌখিকভাবে তাঁরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে অবগত করেন। কিন্তু গতকাল বেলা একটায় আকস্মিকভাবে ভূমি কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে বালু তোলা বন্ধ করে দেয়।এ খবর পেয়ে শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার ও তিনিসহ ১০-১২ জন বালু তোলার জায়গায় ছুটে যান। বিষয়টি নিয়ে ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে কথাবার্তার একপর্যায়ে অযাচিতভাবে ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা এসআই আরিফুল ইসলামের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। এর প্রতিবাদ করলে ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ চন্দন কুমারকে বেধড়ক পিটিয়ে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে পুলিশ এলোপাতাড়ি মারধর করে।এসআই আরিফুল ইসলাম অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে থানা-পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা চন্দন কুমারসহ স্থানীয় লোকজনকে লাঞ্ছিত করার কথা নিশ্চিত করেছেন।উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শেরপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোবিন্দ বাগচি বলেন, শ্মশানটি কমপক্ষে দুই শ বছরের পুরোনো। পুরোনো এই শ্মশানটি সংস্কারে নদী থেকে বালু তোলা নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এভাবে পুলিশ দিয়ে চন্দন কুমারকে পেটানোয় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা থানা ঘেরাও করেন। তবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে ভাঙচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারা এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে, তা তাঁর জানা নেই।এদিকে ভূমি কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ইউএনওর নির্দেশে তিনি করতোয়া নদী থেকে যে জায়গায় বালু তোলা হচ্ছিল, সেখানে গিয়ে সংশ্লিষ্ট চন্দন কুমারকে বালু তুলতে নিষেধ করেন। এ সময় চন্দন কুমার তাঁকে হুমকি দেন। পরে এলাকাবাসী তাঁর কার্যালয়ে হামলা চালান। হামলার সময় তিনি কার্যালয়ে ছিলেন না। তাঁর অধীনস্তরা হামলার খবর দেন তাঁকে। এতে কার্যালয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ভূমি কর্মকর্তা দাবি করেন।তবে উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতা গোবিন্দ বাগচি বলেন, কারা উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে, তা তাঁর জানা নেই।ইউএনও এ কে এম সরোয়ার জাহান বলেন, শ্মশান সংস্কারের জন্য নদী থেকে বালু তোলার বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তবে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু তোলা নিয়ে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাঁর দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলেন বলে জানান তিনি। | 219,348 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৩৩ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৩৫ | বিনোদন,মঞ্চ | 0 | এক উৎসব শেষ, কাল আরেকটি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/47925 | শেষ হয়েছে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব। কাল থেকে শুরু হচ্ছে আরেকটি নাট্যোৎসব মহাকাল নাট্যসম্প্রদায়ের আয়োজনে। পর পর উৎসবে জমে উঠেছে রাজধানীর নাট্যাঙ্গন।গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদ বাংলাদেশ কমিটির উদ্যোগে গত বুধবার থেকে শিল্পকলা একাডেমীতে শুরু হয়েছিল সপ্তাহব্যাপী নাট্যোৎসব। এতে ভারতের একটিসহ মোট ১৮টি নাট্যদল অংশ নেয়। গতকাল সোমবার উৎসবের শেষ দিনে মঞ্চস্থ হয় তিনটি নাটক। জাতীয় নাট্যশালায় কলকাতার অনীক নাট্যদলের প্রতীক, পরীক্ষণ থিয়েটারে শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের তৃতীয় একজন এবং স্টুডিও থিয়েটারে নাট্যধারার আয়না বিবির পালা নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। | 17,299 |