author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৩৯ | ১৩ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৪১ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়),সিটি নির্বাচন | 0 | নিরাপদ ও দূষণমুক্ত আধুনিক ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/502003 | ‘পরিকল্পিত উন্নয়ন, সুযোগের সমতা, নিরাপদ ও দূষণমুক্ত আধুনিক ঢাকা’ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী সাঈদ খোকন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। গতকাল রোববার রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।ইশতেহারে সাঈদ খোকন পুরোনো ঢাকাকে বদলে স্বপ্নের আধুনিক ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার করেন। এ ছাড়া ইশতেহারে যানজট নিরসনসহ পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইশতেহারে আরও ১০টি বিষয়ে কর্মসূচির কথা জানানো হয়।তিনি ‘সহস্র নাগরিক কমিটি’র ব্যানারে ইলিশ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহ্বায়ক নাজমা শাহীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ কামাল, বিএমএর মহাসচিব ইকবাল আর্সনাল, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, হাবিবুর রহমান সিরাজ, দলের ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহস্র নাগরিক কমিটির মহাসচিব গোলাম কুদ্দুস।ইশতেহারে সাঈদ খোকনের দেওয়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে ‘যানজট নিরসনে ঢাকা দক্ষিণে পুরোনো এবং নতুন ঢাকার সমন্বিত গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে, মোহাম্মদ হানিফ সেতুর মতো আরও অধিকসংখ্যক দোতলা, তিনতলা উড়ালসেতুর প্রকল্প সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে গ্রহণ করা। এ ছাড়া গণপরিবহনে নারীদের নিরাপদ চলাফেরাসহ বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার করেন তিনি।নগরবাসীর দৈনন্দিন ‘পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ’—এই তিন নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদ্মা নদী থেকে পাইপযোগে ঢাকায় পানি নিয়ে এনে তা পরিশোধনের মাধ্যমে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করাসহ মহানগরের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র গড়ে তোলার কথা আছে ইশতেহারে।এ ছাড়া পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর মহানগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘একটি বাড়ি একটি বাগান’ স্লোগানে প্রতিটি বসতবাড়ির মাটি, ছাদ, ব্যালকনিতে বাগান সৃজনে উদ্যোগ গ্রহণ করে সবচেয়ে সুন্দর বাগানমালিকদের পুরস্কৃত করে উৎসাহিত করা হবে। দূষণমুক্ত, নাব্য ও নিরাপদ বুড়িগঙ্গার প্রতিশ্রুতি আছে ইশতেহারে।সাঈদ খোকন তাঁর বাবা ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি বাবার অনুপস্থিতি ভীষণভাবে অনুভব করি। তবে সাহসী হই, যখন দেখি আপনারা (ঢাকাবাসী) আমার পাশে আছেন। আপনারাই আমার পিতা, আপনারাই আমার অভিভাবক। আমি নির্বাচিত হলে নগরপিতা হিসেবে নয়, আপনাদের সন্তান হিসেবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেবা করে যাব।’পাঁচ বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়ে ইশতেহারে যে অঙ্গীকারগুলো করা হয়েছে, তার কতটুকু পূরণ করতে পারবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে অবশ্যই সম্ভব। এটা কোনো ব্যাপারই না।’ইশতেহারের ঘোষণার শুরুতেই সাঈদ খোকনের নির্বাচন সমন্বয়কারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গিবাদ নির্মূল করা এবং উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নেওয়ার জন্য এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।’ | 131,048 |
আফজাল হোসেন | opinion | মতামত | ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ০৬:০০ | ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ০৬:০০ | -1 | null | একজন লাকীর আনলাকি ইনিংস | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1163341 | আমাদের দুস্থ তৈরির কারখানায় উৎপাদিত আরেকটি উপযোগী পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেল। ক্রিকেটের ভাষায়, একটা ভালো ইনিংসের দুর্ভাগ্যজনক পরিসমাপ্তি। চলে গেলেন সুরকার, শিল্পী লাকী আখান্দ্। চলে গেলেন প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে, ভক্ত-অনুরাগীদের শোকসাগরে ভাসিয়ে দিয়ে।হঠাৎ কাছের ও দূরের মানুষেরা বড়সড় একটা আঘাতে কেঁপে উঠেছে। প্রতিভাধর মানুষটা নেই। যার সুরারোপ করা গানে ছিল মুগ্ধতা। ছিল বিস্ময়, নতুনত্ব। ছিল, নেই। গৌরবের মাইলফলক শাঁই করে পেছনে চলে গেল। একটা রুচি, শিক্ষা, সৌন্দর্যের কাল, সৃজনশীলতার মান চলে গেল মেঘের আড়ালে। চিরকালের জন্য আড়ালে চলে যাওয়ার আগে বহুকাল তিনি অলক্ষ্যে অবহেলায় ছিলেন; তা আমাদের খুব বেশি ভাবায়নি। তাঁর অসুস্থতার কথা জানাজানি হলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়েছি।কেউ যখন বাঁচা-মরার টানাটানিতে থাকে, আমরা উদ্বিগ্ন হই। উৎকণ্ঠা জাগে। আমাদের সে রকমই অভ্যাস। শ্বাস নিতে পারা, ফেলতে পারাকে আমরা বলি বেঁচে থাকা। কীভাবে বেঁচে থাকতে পারলে তাকে বেঁচে থাকা বলে, অর্থবহ বেঁচে থাকা ও আয়ুক্ষয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? আজকাল অত ভারী ভাবনায় সময় নষ্ট করে না কেউ। এখনকার ধারণা, জীবন মানে ছলে-বলে-কৌশলে উন্নতি। জোর খাটিয়ে যারা নিজের চাওয়া, শুধু নিজের পাওনা বুঝে নিতে জানে, তাদেরই সময়ের উপযুক্ত বলে ভাবা হয়। তারা কেমন দামি, কতটা সম্মানীয়, তা ঠিক করে দেয় ক্ষমতা ও অর্থবিত্ত । সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না, তারা ভালো করেই জানে। আঙুল বাঁকাতে বাঁকাতে তাদের ধ্যানজ্ঞানও আর সোজা থাকে না।উল্টো হয় সৃজনশীল মানুষেরা, স্বভাবে তারা ভোগী নয়। নেওয়ার বদলে দেওয়াতে তাদের আগ্রহ। কঠিন বাস্তবতা বুঝতে আগ্রহহীন বলে তাদের নিয়ে হাস্যকৌতুক কম হয় না। তবু শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজের আগ্রহ, ভালোবাসার পথেই তারা নিবিষ্ট পথিক হয়ে হাঁটে, হেঁটে চলে যত দিন বাঁচে। সেই নিবিষ্ট থাকায় হয়তো অনেকের অর্থবহ জীবন মেলে, কিন্তু সাধারণত সেসব জীবন অর্থকরী হয়ে ওঠে না। অনেক দুর্ভোগ সয়ে শেষ পর্যন্ত এমন স্বভাবের মানুষদের দীনহীনের মতো মৃত্যুবরণ করতে হয়।সব রকম মানুষে রঙিন এই দুনিয়া। এখানে ভাগ্যে বিশ্বাস করে অনেকে, অনেকে মনোযোগী কর্মে। কর্মই ভাগ্যোন্নয়ন ঘটিয়ে দেবে মনে করলেও উন্নয়ন ঘটে আবার ঘটেও না। মানুষ ভাগ্যগণনাকারীর কাছে যায়, কত কী সলা গ্রহণ করে। লাভ হয়, হয় না। জগৎ এ রকমই। আছে ও নেইয়ের। সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ, আশা-নিরাশারও। মানুষ আশা করে ভালোর। সন্তান জন্ম নেয়, মাতা-পিতা নাম রাখে আকাশ, আলো, লাকি। সবই আসলে ইচ্ছার প্রকাশ। স্বপ্নরূপ। সত্য হয়, হয় না। আকাশ আকাশজয়ের মতো সাফল্য পেতে পারে আবার আলোর জীবনে হয়তো নামের সার্থকতা মেলেই না। লাকি মানে সৌভাগ্যবান। নাম পাওয়া মানে সৌভাগ্যপ্রাপ্তি নয়। সৌভাগ্য অর্জনে সাধ্য লাগে। সেই সাধ্য কারও কারও মধ্যে থাকে অপরিসীম। যে মানুষের চিন্তাচেতনা, ভাবনার পরিধি অসংখ্যের মতো নয়, সেই মানুষ বিশেষ। বিশেষভাবে স্বীকৃত যদি না হয়, তা দুর্ভাগ্যজনক।লাকী আখান্দ্, সৌভাগ্যবানই ছিলেন। যে সময়টাতে তাঁর আবির্ভাব, তখন সব মানুষ প্রাণ খুলে সবকিছু করতে চায়। আত্মা দিয়ে সবই অনুভবের চেষ্টা করে। একটা দেশ, পতাকা পাওয়ার গৌরব প্রাণে প্রাণে। সবাই নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী সেরাটা নিবেদন করতে চেয়েছে। তখনকার ইচ্ছার মধ্যে সীমাহীন নিষ্ঠা, প্রবল সততা ছিল। স্বার্থপরতা তখন তিমি মাছের মতো বিরাটাকায় হয়ে ওঠেনি। সময় বদলায়। মানুষ বদলে যায়। যা যেমন ছিল, থাকল না তেমন, থাকেনি। কেন থাকেনি, নিজ নিজ স্বার্থ অনুযায়ী দায়িত্ববান পরিচয়ের মানুষের যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সব মন্দের কারণ সবার জানা, ব্যাখ্যাদানও অব্যাহত, তবু মন্দ থেমে থাকে না। আমরা দেখতে পাই, শুনি এই অন্যায় কর্ম অমুক বা তমুকেরা করেছে। বলা মানুষেরা রগ ফুলিয়ে বলে, সেই একই অন্যায় করে বুক ফুলিয়ে।শিল্পীর মর্যাদা, গুণের কদর, মূল্য দেওয়ার কতটা সাধ্য আছে আমাদের? আমরা বলি, আছি ভালোর পক্ষে। ভালোকে মজবুত রাখার চেষ্টা চোখে পড়ে কম। অন্যের ভালোকে রক্ষার আগে নিজের ভালোটা বুঝে নিতে ভুল হয় না। আমরা ভালোকে বাজারে তুলে ঠিক করে নিই, কতটা ভালো। শিক্ষিত দাবি করি। সংস্কৃতিমান পরিচয়ে গর্ববোধ করি। হাতে শক্ত করে ধরা আদর্শের ধ্বজা। একই মানুষেরা লাভের লালসায় ভালো বাজারদরওয়ালার পায়ের নিচে মই এগিয়ে দিই—উঠুন আপনি। তার সব দুর্বলতা, অক্ষমতাকে না দেখার ভান করি। উপযুক্ততা না থাকলেও বিকোয় বলে তাকে বিক্রির চেষ্টায় নিজেদের লাভ, সে হিসেবে উন্নত মানের পণ্য প্রমাণের চেষ্টাও করা হয়। এমন চেষ্টা বা লাই দেওয়ার অভ্যাসে বহু গুণীর উপযুক্ত কদর মেলেনি, মেলে না।নগদ পাওয়া মানুষেরা কড়ায়-গন্ডায় নিজের হিসাব বুঝে নিতে সর্বদা ব্যস্ত থাকে। হঠাৎ যদি বাতাসে খবর ছড়িয়ে পড়ে, অমুকে খুবই অসুস্থ, অসুস্থতার কারণে সে মানুষ সহসা হয়ে ওঠে প্রধান। হঠাৎ তার প্রতি মনোযোগ ফেরে। অবহেলা পাওয়া মানুষ আদর পাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। মানুষটার বর্ণাঢ্য অতীত তুলে আনা হয়। গুরুত্ব বাড়িয়ে দিতে দুস্থতাও জুড়ে দেওয়া হয় নাম-পরিচয়ে। যে মানুষ নিজের প্রতিভাবলে বিশেষ, সে মানুষটা বা তেমন মানুষেরা দুস্থ বনে যায় নিজের দোষে নয়, অসংখ্যজনের সামাজিক দায়হীনতা, স্বার্থপরতায়। কোটি কোটি মানুষের মধ্যে যেসব মানুষ গুণপনায় বিশেষ, তাদের সেই বিশেষত্ব অটুট থাকে না। থাকতে দেওয়া হয় না। শিল্পমনস্কতার সঙ্গে অনৈতিকতা, শঠতায় সবার মধ্যে থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।অর্থপূর্ণ জীবন আর অর্থে পূর্ণ জীবন এক নয়। অর্থপূর্ণ জীবনের চেয়ে অর্থে পূর্ণ জীবনের প্রতি আমাদের অধিক আগ্রহ। সেই আগ্রহ সীমা-পরিসীমা মেনে চলে না। তা সমষ্টির জন্য অনর্থ আমদানি করলেও ভ্রুক্ষেপ নেই। ‘কম্প্রোমাইজ একটা আর্টে’র খপ্পরে পড়েছে জীবন, সংস্কৃতিচর্চা। ছবি আঁকা, গান, লেখালেখি, সিনেমা, নাটক, নৃত্যকলা—সবই কোনো রকমে টিকে আছে। সগৌরবে টিকে নেই। সগৌরবে টিকে থাকার জন্য উপযুক্তের প্রতি সমীহ দরকার। উপযুক্ত পরিবেশ, মানুষ, ইচ্ছা, নিষ্ঠা দরকার। দরকার সংস্কৃতি ও সমষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। শিল্প, শিল্পীর প্রতি দয়ামায়া যতটা, শ্রদ্ধাবোধ ততখানি রয়েছে মনে হয় না। আমরা মহত্ত্বের প্রকাশ ঘটাতে চাই অনুরাগ প্রকাশ করে নয়, সাহায্যকারীর ভূমিকা গ্রহণ করে, সাহায্য দান করে।একজন মানুষ নৌকা বেয়ে জীবন চালায়। ঝড়-জল-বন্যা তাকে অসহায় করে, কিন্তু মানুষটা আবারও তার জীবনসংগ্রাম ফিরে পায়। প্রকৃতির এই খেয়ালখুশি মেনে নেয় মানুষ। মানুষের খেয়ালখুশিতে যদি কোনো জীবনের গতি বাধাগ্রস্ত হয়, তা মেনে নেওয়ার মতো না হলেও সবলের দাপট মেনে নিতে হয়। মানুষই যদি মানুষকে উপায়হীন করার ভূমিকায় থাকে, দোষ ভাগ্যের ওপর চাপানো চলে না।একজন কৃতীর মৃত্যুসংবাদে শোকগ্রস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু মানুষটা জগতে বেঁচে থেকেও যখন নেই হয়ে থাকে, আমাদের মনোযোগ মোটেও সেদিকে ফেরে না। প্রশ্ন জাগে না, কোথায় কেমন আছে মানুষটা? প্রশ্ন জাগে না, বিস্ময় সৃষ্টি করার যোগ্যতা থাকলেও মানুষটা সক্রিয় কেন নয়? সাধ্য, সামর্থ্যের যথেষ্ট প্রমাণ রেখেও গুণবান মানুষকে অস্তিত্বের সংকটে ভুগতে হয়। কর্মক্ষেত্রের ব্যাপ্তি দশ গুণ বেড়ে গেলেও দিনের পর দিন যোগ্যতর মানুষকে থাকতে হয় সুবিধাবঞ্চিত।প্রতিটি জীবন একেকটি ইনিংস। কুশলী খেলোয়াড়ের চাই মাঠ, খেলা, প্রতিযোগিতা। মানুষের রোগগ্রস্ত মতিগতির কাছে সুস্থ ও কুশলীরা হেরে যায়। বসে থাকতে হয় মাঠের বাইরে, অতিরিক্তের আসনে। নিজ ঘরে পরবাসীর মতো। বেঁচে থাকলেও সেই হেরে যাওয়া মৃত্যুসম। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এভাবেই সুস্থতার ঘাড়ে উড়ে এসে জুড়ে বসে দুস্থতা।মৃত্যুসংবাদ আমাদের শোকাভিভূত করেছে। শোক আত্মসমালোচনার ইচ্ছাও জাগ্রত করুক। নিজেদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নিজেরাই প্রশ্ন করি, কী আমাদের করণীয় ছিল? কী করে চলেছি আমরা? জীবনের প্রতি সম্মানবোধ অটুট রাখা ছিল দায়িত্ব। মানুষের সামর্থ্যকে মর্যাদা দেওয়া সভ্যতা। সেসবের চেয়ে মৃতকে আমরা অনেক বেশি সম্মানদানে আগ্রহী। কৃতী মানুষদের বেঁচে থাকাকালীন অবহেলা করলেও দাফন-কাফনের বেলায় আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে সমবেত হই। তা মৃত্যু উদ্যাপন হয়ে ওঠে। টের পাওয়া হয় না, জীবন উদ্যাপন আমাদের কর্তব্য ছিল। কর্তব্যে অবহেলা করে করে আর কতকাল কত লাকী ইনিংসকে আনলাকিতে পরিণত করব আমরা?আফজাল হোসেন: লেখক, অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রশিল্পী। | 314,613 |
-1 | sports | খেলা | ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৫৬ | ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৫৬ | খেলা | 0 | ক্রীড়াসূচি ২০১৭ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1050471 | ফিফা বর্ষসেরা১৩ জানুয়ারিজুরিখ, সুইজারল্যান্ডআফ্রিকা নেশনস কাপ১৪ জানুয়ারি-৫ ফেব্রুয়ারি (গ্যাবন)অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস১৬-২৯ জানুয়ারি (মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া)বাংলাদেশ ওপেন গলফ১-৪ ফেব্রুয়ারিঢাকা, বাংলাদেশআইপিএল৩ এপ্রিল-২৬ মে (ভারত)ফ্রেঞ্চ ওপেন টেনিস২২ মে-১১ জুন (প্যারিস, ফ্রান্স)ইউরোপা লিগ ফাইনাল২৪ মে (স্টকহোম, সুইডেন)চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ক্রিকেট১-১৮ জুন (ইংল্যান্ড)চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল৩ জুনকার্ডিফ, ওয়েলসফিফা কনফেডারেশনস কাপ১৭ জুন-২ জুলাইরাশিয়াউইম্বলডন টেনিস৩-১৬ জুলাই (লন্ডন, ইংল্যান্ড)ওয়ার্ল্ড সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপ১৪-৩০ জুলাই (বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি)ট্যুর ডি ফ্রান্স১–২৩ জুলাই, ফ্রান্সমেয়েদের ইউরো ফুটবল১৬ জুলাই-৬ আগস্ট (হল্যান্ড)ইউএস ওপেন২৮ আগস্ট-১০ সেপ্টেম্বরওয়ার্ল্ড জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ২৭ সেপ্টেম্বর-৯ অক্টোবরমন্ট্রিয়ল, কানাডাবিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ১৭-২৫ অক্টোবরঅ্যাশেজ২৩ নভেম্বর ২০১৭-৮ জানুয়ারি ২০১৮ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ১-১৬ ডিসেম্বরএটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস১২-১৯ ডিসেম্বর ক্রীড়াসূচি২০১৭ফিফাবর্ষসেরা১৩জানুয়ারিজুরিখ, সুইজারল্যান্ড আফ্রিকানেশনসকাপ১৪ জানুয়ারি-৫ ফেব্রুয়ারি (গ্যাবন) অস্ট্রেলিয়ানওপেনটেনিস১৬-২৯ জানুয়ারি (মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া) বাংলাদেশওপেনগলফ১-৪ফেব্রুয়ারিঢাকা, বাংলাদেশ আইপিএল৩ এপ্রিল-২৬ মে (ভারত) ফ্রেঞ্চওপেনটেনিস২২ মে-১১ জুন (প্যারিস, ফ্রান্স) ইউরোপালিগফাইনাল২৪ মে (স্টকহোম, সুইডেন) চ্যাম্পিয়নসট্রফিক্রিকেট১-১৮ জুন (ইংল্যান্ড) চ্যাম্পিয়নসলিগফাইনাল৩জুনকার্ডিফ, ওয়েলস ফিফাকনফেডারেশনসকাপ১৭জুন-২জুলাইরাশিয়া উইম্বলডনটেনিস৩-১৬ জুলাই (লন্ডন, ইংল্যান্ড) ওয়ার্ল্ডসুইমিংচ্যাম্পিয়নশিপ১৪-৩০ জুলাই (বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি) ট্যুরডিফ্রান্স১–২৩ জুলাই, ফ্রান্স মেয়েদের ইউরো ফুটবল১৬ জুলাই-৬ আগস্ট (হল্যান্ড) ইউএসওপেন২৮ আগস্ট-১০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ডজিমন্যাস্টিকসচ্যাম্পিয়নশিপ২৭ সেপ্টেম্বর-৯ অক্টোবরমন্ট্রিয়ল, কানাডা বিশ্বভারোত্তোলনচ্যাম্পিয়নশিপ১৭-২৫ অক্টোবর অ্যাশেজ২৩ নভেম্বর ২০১৭-৮ জানুয়ারি ২০১৮ ফিফাক্লাববিশ্বকাপ১-১৬ ডিসেম্বর এটিপিওয়ার্ল্ডট্যুরফাইনালস১২-১৯ ডিসেম্বর | 279,146 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২০ আগস্ট ২০১৩, ১৭:৫২ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ১৭:৫৬ | শেয়ারবাজার | 0 | কমেছে সূচক, বেড়েছে লেনদেন | http://www.prothom-alo.com/economy/article/40713 | শুরু থেকে আজ মঙ্গলবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চললেও নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে দেখা যায়, দুই বাজারেই গতকালের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। তবে সূচক সামান্য কমেছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে।প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে আজ ৭০৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ২৩১ কোটি টাকা বেশি। গতকাল এই বাজারে ৪৭৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন ৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ১৩ কোটি টাকা বেশি। গতকাল এই বাজারে ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়।লেনদেন বাড়লেও দিন শেষে সূচক কমে যায় দুই শেয়ারবাজারেই। দিন শেষে ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক গতকালের চেয়ে ১.২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪০৮২.৬৭ পয়েন্টে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়, যা লেনদেনের প্রায় শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সূচক সামান্য কমে যায়।ডিএসইতে আজ ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৩টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৩২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।সিএসইতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক গতকালের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২ হাজার ৬৩৯ পয়েন্টে।আজ সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৫টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১০৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।ডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিএসসিসিএল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, গ্রামীণফোন, তিতাস গ্যাস, স্কয়ার ফার্মা, যমুনা অয়েল, অ্যাকটিভ ফাইন, ইউনাইটেড এয়ার প্রভৃতি। | 10,467 |
রাজধানী প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৫৩ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৫৩ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | দুর্ঘটনায় ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/705265 | সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মাশুক খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।গত ২৪ নভেম্বর সাভার থেকে ঢাকা আসার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ‘বংশী’ থেকে পড়ে যান মাশুক খান। টানা ১১ দিন চিকিৎসার পর গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের দপ্তর সূত্র ও কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, মাশুকের মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল সকাল আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাভার রুটের বিশ্ববিদ্যালয়ের বংশী বাসে সিট না থাকায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে আসতে হয়। ২৪ নভেম্বর গেটে দাঁড়িয়ে আসার সময়ই পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান মাশুক। কিন্তু তাঁকে কোনো সাহায্য করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়াকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণের পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। | 181,068 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৪ | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৫৪ | বিনোদন,বিদেশের গান | 0 | প্রতারিত লেডি গাগা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/117783 | যা কিছু হয় সবই নাকি ভালোর জন্য। গত বছর নিতম্বের চোট নিয়ে দীর্ঘদিন বসে থাকতে হয়েছে লেডি গাগাকে। আর এই অবকাশে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, অনেকেই বন্ধুর মুখোশ নিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসেছিল তাঁর কাছে। সেই কথিত বন্ধুরা স্রেফ সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে গাগাকে।প্রতারিত হয়েছেন মন্তব্য করে গাগা বলেন, ‘যে মানুষগুলোকে বিশ্বাস করেছি, ভালোবেসেছি, এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি, তারাই আমার হূদয় ভেঙে দিয়েছে। তারা আমাকে ব্যবহার করেছে, আমার সঙ্গে মিথ্যা বলেছে। এটা আমার জন্য ছিল কঠিন এক শিক্ষা।’ পিটিআই। | 42,025 |
রোজিনা ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ১০:৫৭ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ১০:৫৮ | সরকার | 0 | ভারতে বন্দী বাদলকে আইনি সহায়তা দিতে চিঠি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/826675 | ভারতে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া বাংলাদেশের নাগরিক বাদল ফরাজীকে আইনি সহায়তা দিতে অর্থ চেয়ে সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন।হাইকমিশন বলছে, তাদের তদন্ত অনুযায়ী বাদল নির্দোষ। সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে।বাদলকে দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা চেয়েছে হাইকমিশন। এ অবস্থায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চিঠি চালাচালি শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।বাদলের ব্যাপারে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাঠানো চিঠির একটি কপি প্রথম আলোর হাতে এসেছে। চিঠির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের নভেম্বরে দিল্লির জেলা আদালতে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান বাদল। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে বাদলের বিষয়টি তদন্ত করে হাইকমিশন। তদন্তে দেখা যায়, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁর জন্য আইনি লড়াইয়ের পক্ষে মত দেয় হাইকমিশন। এ কারণে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হাইকমিশন দুই লাখ টাকা খরচ চেয়ে সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।হাইকমিশনের চিঠিতে বলা হয়, বাদল বিহার কারাগারে আছেন। সরকারের নির্দেশে হাইকমিশন তদন্ত করে জানতে পেরেছে, তিনি নির্দোষ। মানবিক বিবেচনায় তাঁর মামলার খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বাদলের মামলা লড়ার জন্য টাকা চেয়ে হাইকমিশনের পাঠানো চিঠি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চিঠি চালাচালি শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। | 219,171 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৪ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৪ | বাণিজ্য | null | ‘মন্ত্রী নির্বাচন করেন প্রধানমন্ত্রী’ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/118579 | ‘মন্ত্রী নির্বাচন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি যদি কাউকে মন্ত্রী নির্বাচন করেন, খুব কম লোকই আছেন সেটা অমান্য করতে পারেন।’ আগামীবার মন্ত্রী থাকছেন কি থাকছেন না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবটি এভাবেই দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, অর্থমন্ত্রী থাকলে দিনে ১৪-১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। কিন্তু বয়সের কারণে আমার পক্ষে ১৪-১৬ ঘণ্টা কাজ করা অনেকটাই মুশকিল। আমার ইচ্ছা আগামীতে সাংসদ হিসেবে থাকা।’সচিবালয়ে গতকাল বুধবার রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রিহ্যাবের সভাপতি নসরুল হামিদ।একান্তই যদি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব না নিতে চান, তাহলে কারও ব্যাপারে তাঁর কোনো সুপারিশ বা প্রস্তাব আছে কি না—জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘আমার গতবারের অভিজ্ঞতা হলো, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে সুপারিশ করার সুযোগ থাকে না। সে জন্য এবার আমি চেষ্টাও করিনি।’হরতাল অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী নতুন সংসদে হরতাল বন্ধের প্রস্তাব তুলবেন বলে জানান।জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করা উচিত বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জামায়াত একটি সন্ত্রাসী দল। এর প্রমাণ হচ্ছে, সিলেটে দুজন জামায়াত নেতা ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে।’চলমান অবরোধ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটিও মারাত্মক ক্ষতিকর। দুর্ভাগ্য যে অর্থনীতির এই বিপর্যস্ত অবস্থা নিজেরাই তৈরি করে রেখেছেন, খালেদা জিয়া তো তা মানবেনই না। কিন্তু তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা তো আছেন, ব্যবসায়ীরাও আছেন। তাঁরা তো নির্বোধ নন। তাঁদের নিজেদের স্বার্থ বোঝা উচিত।’রাজনৈতিক অস্থিরতায় গৃহায়ণ শিল্প রক্ষার্থে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে দুটি দাবি জানানো হয় অর্থমন্ত্রীর কাছে। স্বল্প ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের এক অঙ্কের সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য তিন হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন এবং ডেভেলপারদের বর্তমানের ব্যাংকঋণ ডাউন পেমেন্ট ছাড়া এক বছরের জন্য গ্রেস পিরিয়ডসহ পুনঃ তফসিলের সুযোগ।পুনঃ তফসিলের সুযোগের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলে জানান। আর এক অঙ্কের সুদে তহবিল গঠনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী সরাসরিই বলেন, ‘এটা হবে না। এটা একটা খামোখা প্রস্তাব।’রিহ্যাব জানায়, ব্যাংকগুলোতে আবাসন ব্যবসায়ীদের অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা। | 42,353 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১১ আগস্ট ২০১৮, ২২:১৫ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ২২:১৮ | ভারত | 0 | নারী কমান্ডো নিয়ে সোয়াটের যাত্রা শুরু | http://www.prothom-alo.com/international/article/1551936 | ভারতে প্রথম উইমেন স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস বা সোয়াট দলের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। সন্ত্রাস দমনে বিশেষ অভিযানে বিশেষ এই বাহিনী কাজ করবে। সন্ত্রাস দমনে নারীদের সোয়াটের দলকে ১৫ মাস ধরে ভারত ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন (১৫ আগস্ট) কয়েক দিন বাকি থাকতেই সোয়াট দলের যাত্রা শুরু হলো।৩৬ কমান্ডো নিয়ে সোয়াটের যাত্রা শুরু হলো। এর মধ্য ১৩ জন কমান্ডো আসামের। বাকিরা অরুণাচল, সিকিম ও মণিপুরের।সোয়াটের এই স্কোয়াডের পরিকল্পনা করেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার আমুলিয়া পাটনায়েক। সন্ত্রাস দমনে নতুন এ দল সম্পর্কে তিনি বলেন, জিম্মি নাগরিকদের উদ্ধার এবং শহরে সন্ত্রাস প্রতিরোধে সোয়াট অভিযান চালাবে। ঝটিকা বাহিনীর মতো অভিযান চালাবে দলটি। এরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মীদের চেয়ে কোনো অংশে কম নন।ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সোয়াট দলটি স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লাল কেল্লা ও ইন্ডিয়া গেটে বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।ভারতীয় এ নারী কমান্ডোদের হাতে শোভা পাবে এমপিফাইভ সাবমেশিন গান, গ্লক টুয়েন্টি ওয়ান পিস্তল এবং ইসরায়েলি ক্রাভ মাগা।দিল্লি পুলিশের ডিএসপি প্রমোদ কুশওহা বলেন, ৩৬ জনই দক্ষ কমান্ডো। এরা কোনো ভবনে ঝটিকা অভিযান, আক্রমণের প্রতি-আক্রমণ, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়ার মতো দায়িত্ব পালনে এরা বেশ চৌকস। তথ্যসূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড | 373,302 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২২ নভেম্বর ২০১৫, ১৩:৪৩ | ২২ নভেম্বর ২০১৫, ১৩:৪৬ | বাংলা গান | 0 | নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করলেন ন্যান্সি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/691063 | বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন সংগীতশিল্পী ন্যান্সি। এমনকি গত কোরবানির ঈদেও অ্যালবামটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। নানা ব্যস্ততার কারণে আর তা হয়ে ওঠেনি। এবার সত্যিই অ্যালবামের কাজে হাত দিয়েছেন ন্যান্সি।গতকাল শনিবার নতুন অ্যালবামের দুটি গানের রেকর্ডিংও শেষ করেন এই গায়িকা। প্রথম আলোকে আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে নিজেই জানালেন এই খবর।অ্যালবাম প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, ‘অবশেষে অ্যালবামের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আবার আমার বড় মেয়ের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তাই সামনের কয়েকটা দিন তাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে। তার ফাঁকে যদি সময় পাই তাহলে গানের রেকর্ডিং শেষ করব। দুটি গানের মধ্যে একটি গান গেয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। আশা করছি, কয়েকটা ভালো গান শ্রোতারা পাবেন।’এদিকে, কাল সোমবার ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই বাংলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে কনসার্ট ‘ক্যাচ অনুপম রায় লাইভ ইন ঢাকা’। এতে ওপার বাংলা থেকে গাইতে আসছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অনুপম রায়। বাংলাদেশ থেকে এই কনসার্টে গান করবেন ন্যান্সি এবং পারভেজ।দুই বাংলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে এই আয়োজন প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, ‘আয়োজকেদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অতিথিশিল্পীর নামে অনুষ্ঠানের নামকরণ করে দেশের শিল্পীদের ছোট করা হচ্ছে কিনা একটু ভেবে দেখা দরকার।’ তিনি এও বলেন, ‘তা ছাড়া ভারতের শিল্পীরা গাইতে এলে আমাদের শ্রোতাদের ভেতরেও এক ধরনের উত্তেজনা দেখা যায়। দেশের শিল্পীদের ক্ষেত্রে বরং খানিকটা উদাসীনতা দেখা যায়।’গানের জগতে ন্যান্সির আগমন ২০০৫ সালে। তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘ভালোবাসা অধরা’। এরপর ‘রঙ’ নামে আরেকটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। ‘দুষ্টু ছেলে’ তাঁর তৃতীয় একক গানের অ্যালবাম। এই অ্যালবামে ‘তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ’ শিরোনামে একটি নজরুলসংগীতও গেয়েছেন ন্যান্সি। | 176,492 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৪ জুলাই ২০১৩, ১০:১৯ | ১৪ জুলাই ২০১৩, ১০:৩৪ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | ছোটদের বিশ্বকাপ ফ্রান্সের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/23998 | নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোল হলো না। গোলের দেখা মিলল না অতিরিক্ত সময়েও। ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। এ পর্যায়ে এসে ভাগ্যের দুয়ার খুলল ফরাসিদের। উরুগুয়েকে ৪-১ গোলে হারিয়ে গত রাতে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ফ্রান্স।তরুণ ফুটবলারদের সফলতায় উচ্ছ্বসিত কোচ মানকোভস্কি। তাঁর চোখে এটি ফরাসি ফুটবলের জন্য দারুণ এক অর্জন। ফ্রান্সের প্রথম অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জয়ের প্রতিক্রিয়ায় মানকোভস্কি বলেন, ‘আমরা খুবই সন্তুষ্ট, ভীষণ খুশি। আমি সব সময় বলেছি, এই দলের শিরোপা জয়ের ভালো সুযোগ রয়েছে। সত্যি বলতে, শুরু থেকে এই বিশ্বাসটা আমার মাঝে ছিল।’ফ্রান্স-উরুগুয়ে ফাইনালের আগে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী লড়াই। এ লড়াইয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাককে ৩-০ গোলে হারায় ঘানা। সূত্র: রয়টার্স। | 2,271 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৩ | ১০ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৩ | মহানগর | 0 | নারী হবেন দেশের সম্পদ পুরুষ হবেন সহযাত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/794281 | নারীরা দেশের বোঝা না হয়ে সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবেন, পুরুষেরা হবেন তাঁদের সহযাত্রী—এমনই অঙ্গীকার তরুণ প্রজন্মের। অপেক্ষাকৃত বয়স্করা বলছেন, নারীদের আত্মবিশ্বাস অটুট রেখে আর কঠিন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেদের এগিয়ে নিতে হবে। শিক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। তবেই ২০৩০ সালের মধ্যে ঘরে-বাইরে নারীরা হবে সমানে সমান।গতকাল বুধবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তরুণেরা এসব অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। শপথ নেন, আর একটি নারীকেও ধর্ষিত-লাঞ্ছিত-অপমানিত হতে দেবেন না। ‘তরুণ প্রজন্মের অঙ্গীকার: ২০৩০ জেন্ডার সমতার লক্ষ্যে ৫০: ৫০’ শীর্ষক এই আয়োজনে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব শপথ নেন। স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট ও ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নারী আলোকিত নারী। দেশের সব শ্রেণি ও পেশার নারীদের অবদানের জন্য বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দেশে নারীর অর্জন ফলপ্রসূ। শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীর দৃশ্যমান উপস্থিতি ও সফলতা দেখা যাচ্ছে। মূল বক্তব্যে স্টেপসের পরিচালক রেখা সাহা বলেন, সমাজের নানা সনাতন প্রথার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা নারী আর পুরুষ পরস্পর অসম সম্পর্কসূত্রে বাধা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসমতা এই বৈষম্যপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মূল ভূমিকা পালন করে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেমেয়ে প্রায় সমান। কিন্তু সমাজের অন্য স্থানে নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে। নারীরা করুণা নয়, নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করেই বিভিন্ন জায়গা দখল করছে। অনেক নারী নিজেদের অবলা মনে করে, সেই ধারণা পাল্টাতে হবে। | 209,442 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ৩১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:৩৬ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:৫৩ | চলচ্চিত্র | null | ‘মায়া’ হচ্ছেন জ্যোতিকা জ্যোতি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1421306 | ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবির শুটিং শেষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবির নাম ‘মায়া’। সরকারি অনুদানে তৈরি হবে ছবিটি।‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবির শুটিং শেষ করে তিন দিন আগে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। এর মধ্যে আবার নতুন করে খবরে এসেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরেকটি ছবিতে তিনি অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবির নাম ‘মায়া’। সরকারি অনুদানে তৈরি হবে ছবিটি। জ্যোতিকা জ্যোতি আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, ‘মায়া’ ছবিতে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন।‘মায়া’ পরিচালনা করবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া পরিচালক মাসুদ পথিক। এরই মধ্যে ছবির গান রেকর্ডিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ‘মায়া’র আগে আরও দুটি অনুদানের ছবিতে অভিনয় করেছেন জ্যোতি। ছবি দুটি হলো তানভীর মোকাম্মেলের ‘রাবেয়া’ ও ‘জীবন ঢুলি’। দুটি ছবিতেই জ্যোতিকা জ্যোতির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।জ্যোতিকা জ্যোতি জানান, ‘মায়া’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য অনেক দিন থেকেই পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কিছু বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে দেরি হয়। তিনি বলেন, ‘ছবির গল্পটাই এমন যে অভিনয়ের জন্য অনেক দিন সময় দিতে হবে। কিন্তু আমি অন্য ছবি আর নাটকের কাজের কারণে সময় বের করতে পারছিলাম না। আবার ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয়ের লোভটাও সংবরণ করতে পারিনি। ছবির গল্পের প্রতি অন্য রকম ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম।’‘মায়া’ ছবির কাজ শুরু হবে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তবে জ্যোতি শুটিংয়ে অংশ নেবেন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি। ছবিতে তাঁর চরিত্রটি প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘মায়া গ্রামের মেয়ে। তার সংগ্রামী জীবন। আপাতদৃষ্টিতে চরিত্রটি সরল মনে হলেও যতই চরিত্রের গভীরে গিয়েছি, তত কঠিন মনে হয়েছে। বেশ চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। এটা ফুটিয়ে তুলতে চাই।’ | 353,366 |
-1 | opinion | মতামত | ০৪ জুন ২০১৮, ১১:০০ | ০৪ জুন ২০১৮, ১১:০০ | সম্পাদকীয়: | null | ধর্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1502446 | ধর্ষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোনো থানায় মামলা করা যাবে বলে সম্প্রতি হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মামলা করতে গিয়ে আমাদের দেশের নারীদের যেভাবে হয়রানি হতে হয় এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়, এ রায়ের বাস্তবায়ন সেই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে পারে।গত ২৭ মে হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণার পাশাপাশি ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মামলা দায়েরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগীর ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে হবে।আদালতের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন বা এ-সংক্রান্ত ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ রেকর্ড করবেন। এ ক্ষেত্রে ঘটনা ওই থানা এলাকার মধ্যে সংঘটিত হোক বা না হোক। একই সঙ্গে অবিলম্বে এমন একটি সার্ভার তৈরি করতে হবে, যাতে এ ধরনের অভিযোগ সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে করা যায়। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোনো পুলিশ কর্মকর্তাও যদি অভিযোগ গ্রহণে বিলম্ব করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান থাকতে হবে। যেকোনো রিপোর্ট সংগ্রহ বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থার যেকোনো ব্যর্থতা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া প্রতিটি থানায় কনস্টেবলের নিচে নয়, এমন একজন নারী পুলিশ রাখা এবং সব ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর সব তথ্য সংরক্ষণে গোপনীয়তা রক্ষা করার কথাও আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।হাইকোর্টের এসব নির্দেশনা ধর্ষিতার ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলেই আমরা মনে করছি। কারণ, প্রায়ই দেখা যায়, আমাদের দেশে কোনো মেয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মামলা করতে গেলে অনেক থানা মামলা নিতে গড়িমসি করে। অপরাধ সংঘটনের স্থান থানার অন্তর্ভুক্ত নয়, এ অজুহাত দেখিয়ে অনেক থানা ধর্ষণের মামলা নেয় না। ধর্ষক প্রভাবশালী হলে তো কথাই নেই। আবার এমনও দেখা গেছে, উল্টো ধর্ষিতাকে থানায় নিগৃহীত হতে হয়েছে। আরেকটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে, ধর্ষণের ঘটনার পর সবাই জেনে যাবে—এই ভয়ে অধিকাংশ নারী থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হতে চান না।হাইকোর্টের এই রায় ও নির্দেশনা ধর্ষণের শিকার নারীদের এই ভীতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে বলে আমরা মনে করছি। তবে আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে নানা বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা থাকলেও কার্যক্ষেত্রে এর যথাযথ বাস্তবায়ন হয় না।আমরা আশা করব, এই রায়টির ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। এই রায় বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর যথাযথ পদক্ষেপ ও সচেতন ভূমিকা কাম্য। | 366,154 |
গওহার নঈম ওয়ারা | opinion | মতামত | ৩০ জুন ২০১৭, ০০:৪১ | ৩০ জুন ২০১৭, ০০:৪২ | -1 | 0 | ‘অম্বলে দেয় লঙ্কা বাটা, পায়েসে দেয় নুন’ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1233056 | খবরে প্রকাশ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না চাইলেও পাহাড়ধসের বিষয়ে পরামর্শের জন্য দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় পাহাড়ে উন্নয়নবিষয়ক আঞ্চলিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (ইসিমুড) ও চীনের সেংডুর চায়নিজ ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেন হাজ্যার্ড নামের দুটি সংস্থার যৌথ বিশেষজ্ঞ দলকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমীক্ষা চালাতে চায়। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতি চেয়েছে।আত্মবুদ্ধি শুভকারী; নিজের বুদ্ধিতে ফতুর হওয়া ভালো—পণ্ডিতেরা এমন পরামর্শ দিয়েছেন। তবে আটকে গেলে আবার তাঁদের (পণ্ডিতদের) সঙ্গে পরামর্শ করার দরজাটা খোলা রাখতে বলেছেন। উপদেশ দিয়েছেন ‘গুরুবুদ্ধি বিশেষত’। নাটাই হাতে রাখার এই কৌশল আদিকাল থেকেই বুদ্ধিমানের হাতে বন্দী। গুরুরা নিজের বুদ্ধিতে চলা ভালো বলে পরামর্শ দিয়ে আবার ঝামেলায় পড়লে ফেরত আসতে বলেছেন; তবে শুধু তাঁদের কাছেই। কারণ, তাঁরা মনে করেন, পরের বুদ্ধিতে বিনাশ হয়। তাঁদের লেখা শাস্ত্রের ভাষায় ‘পরবুদ্ধি বিনাশায়’। পণ্ডিত বা গুরুজনেরা পর নন। তাঁরা পর হলে কনসালট্যান্সি ব্যবসা কীভাবে চলবে? কিন্তু শ্লোকগুচ্ছের শেষে এসে পণ্ডিতেরা বিরাট জেন্ডার-কেলেঙ্কারি করেছেন। হঠাৎ করে স্ত্রীদের কথার দাম না দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন তাদের কথা শুনেছ তো কেয়ামত এসে হাজির হবে: ‘স্ত্রীবুদ্ধি প্রলয়ঙ্করী’। প্রলয়-মহাপ্রলয়ের সংকেত দিয়েছেন পণ্ডিতেরা। অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্নকারী মহাবিপদসংকেত বারোর মতো। তবে এখানে একটা সূক্ষ্ম কারচুপি আছে। স্ত্রী বলতে বউ বোঝায়; সমগ্র নারীজাতিকে তা নির্দেশ করে কি?পুরাকালে যখন সংস্কৃত শ্লোকের ফতোয়ায় সমাজ-রাষ্ট্র চলত, তখন কি স্ত্রী বলতে নারীকুলকে বোঝাত? এখন তো স্ত্রী বলতে কেবল বউকেই বোঝায়। ঘর বা মুরগি ডাল বরাবর সেই বিবেচনায় কি তাকে বুদ্ধি-পরামর্শের বাইরে রাখার এই বিধান?আরেকটা কারণও থাকতে পারে। আর্যদের স্ত্রীদের মধ্যে সেকালে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে আসা নারীরাই ছিলেন প্রধান। বিজিতদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে লুটপাট করে আনা সামগ্রীর একটা অংশ ছিল নারী, যাদের পরে স্ত্রী অথবা যৌনদাসীতে পরিণত করা হতো। পদানত দাসদাসীদের বুদ্ধি বা পরামর্শ নেওয়ার বিধান শ্লোক পণ্ডিতেরা কীভাবে দেবেন?এটা শুধু আশরাফ-আতরাফের বিষয় নয়, বরং নিরাপত্তারও একটা বিষয় জড়িত এর সঙ্গে। ঘরবাড়ি, খেত-খামার জ্বালিয়ে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে যে নারীকে নিয়ে এসে স্ত্রী বানানো হয়েছে, সে তো ভুল বুদ্ধি দিতেই পারে, নাশকতার পথ বেছেই নিতে পারে। প্রতিশোধ নিতে কে না চায়। কাজেই দশ-বারো স্তরের নিরাপত্তা চাদরে সমাজকে ঢেকে রাখতে হলে কোনো রকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। অতএব স্ত্রীদের মাফ করা হলো। তাদের পরামর্শ দেওয়ার ভারী কাজ থেকে ভারমুক্ত করলেন পণ্ডিতেরা। সেই চর্চা এখনো বহাল। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ নেই; কোনো স্তরেই নেই।আত্মবুদ্ধি শুভকারী/গুরুবুদ্ধি বিশেষতঃ/পরবুদ্ধি বিনাশায়/স্ত্রীবুদ্ধিঃ প্রলয়ঙ্করী॥যুদ্ধের নামে প্রধানত লুটপাট করতে এসে থেকে যাওয়া আর্য দস্যুদের জৈবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে কথিত শ্লোক-পণ্ডিতগণ তাঁদের উপদেশ (কনসালট্যান্সি) ব্যবসা চালু রাখার জন্য বাস্তববুদ্ধি প্রয়োগ করেছেন। বাস্তবানুগ হয়েছেন, দাঙ্গাবাজরা গায়ে-গতরে অস্ত্রেশস্ত্রে ভয়ানক হতে পারে কিন্তু নতুন দেশ, নতুন আবহাওয়ায় তাদের বুদ্ধি-পরামর্শ দরকার, টিকে থাকতে হলে চলন-বলনের হাল-হকিকতের তত্ত্ব-তালাশ দরকার, কলমের আর কালামের খোঁজখবর রাখতে হয়; তাই পণ্ডিতেরা বিধান দিলেন:শ্রদ্ধধান শুভং বিদ্যাম/আদদী প্রাবরাদপি/অন্ত্যাদপি পরংধর্মং/স্ত্রীরত্ন দুষ্কুলাদপিযাদের জবরদস্তিতে হারাল, গায়ের জোরে যাদের সবকিছু কেড়ে নিল, সেই হেরে যাওয়া ‘নিকৃষ্ট’দের কাছ থেকে শুভবিদ্যা গ্রহণ করা জায়েজ। আতরাফ জাতির কাছ থেকে তুমি আশরাফ হয়েও ধর্মশিক্ষা নিতে পার। আর ছোট বংশ থেকে স্ত্রীরত্ন গ্রহণ বা ভোগে কোনো অধর্ম হয় না। ধর্ম সেটা সহ্য করবে। একেই বলে টিকে থাকার বাস্তববুদ্ধি। রাজা কী চান, তা আঁচ-অনুমান করতে পারাটাই তো পাণ্ডিত্য। সেকালের পণ্ডিতদের কেদারায় এখন একালের বুদ্ধিজীবীরা, টিকে থাকার আর টিকিয়ে রাখার প্রচুর বাস্তববুদ্ধির কলকে হাতে দিব্যি ঘুরে বেড়ান। এসব দোষের কিছু নয়, পূর্বপুরুষের ধারাবাহিকতা। ধারাবাহিকতা রক্ষা না করলে চলে কি?তাই রাজার ছেলে রাজা হন। বংশের বাইরে গদিতে বসতে পারে না কোনো পীর। যদি না সে নিজে পীর হয় আর আলাদা মুরিদ বাহিনী তৈরি করে।কথা হচ্ছিল কার পরামর্শ নেওয়া দুরস্ত আর কারটা হারাম। ঘরের মানুষ বিভীষণ হতে পারে, কাজেই তাকে বাদে সব পণ্ডিতের মতামত নেওয়া যাবে। তবে এটা ঠিক, নিজের মগজ-মেধা আর বিবেক না থাকলে অন্যের পরামর্শে বেশি দূর এগোনো যায় না। গাছে চড়িয়ে পরামর্শদাতা যেকোনো সময় মইটা সরিয়ে নিতেই পারেন। তাতে আম, ছালা ও বৃক্ষ—সবই হারাতে হতে পারে। হারাচ্ছিও। আমাদের অর্জনের চেয়ে হারানোর খবর বেশি বেশি আসছে। চাবি আমার বালিশের নিচে কিন্তু গুদাম ফাঁকা। চোর দিব্যি হাওয়ায় লুকিয়ে যাচ্ছে, লালনের হাওয়ার মাঝে ফাঁদ পেতেও তাকে ধরা যাচ্ছে না। কনসালট্যান্টের নামে পোষ্য (দুগ্ধপোষ্য পড়বেন না) পণ্ডিতদের পরামর্শ ক্রমেই কুপরামর্শ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে।আখেরে পাহাড়ের মানুষেরাই ভালো জানেন পাহাড়কে বশ করে নয়, বরং পাহাড়ের বশীভূত থেকেই পাহাড়ে বাস করতে হয়। রক্ষা করতে হয় একূল-ওকূল দুই কূল। যেখানে গোপনে পা টিপে টিপে এগোতে হবে, সেখানে এগোচ্ছে ঘোষণা দিয়ে। হইহই কাণ্ড, রইরই ব্যাপারের মতো। যাত্রা-সার্কাসের ঘোষণাকে সেসব ঘোষণা হার মানাচ্ছে। আর যেখানে আমাদের সবকিছু ঘোষণা দিয়ে কাজ করার কথা, সেখানে করছি চুপি চুপি, যেন কেউ জানতে না পায়। কিন্তু মানুষ টের পেয়ে যাচ্ছে; মালুম হয়ে যাচ্ছে সবকিছু। তবে আশার কথা, মালুম হলেও কেউ হালুম করছে না।গওহার নঈম ওয়ারা: পরিচালক, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগ, ব্র্যাক। | 323,414 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ আগস্ট ২০১৪, ০০:০০ | ২৭ আগস্ট ২০১৪, ০০:০১ | -1 | 0 | মো. মাহবুবুর রব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/301921 | সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রবের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকায় মগবাজারের রোকেয়া টাওয়ারে বাদ মাগরিব এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আগামী শুক্রবার জুমার পর তাঁর গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এই মাহফিলে মরহুমের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিত থাকার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জনানো হয়েছে। মাহবুবুর রব মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব জহুরুল ইসলামের বড় ভাই। বিজ্ঞপ্তি। | 88,433 |
খাদিজা ফাল্গুনী | life-style | জীবনযাপন | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:২৯ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:২৯ | নকশা,ফ্যাশন | null | ফ্যাশনে উজ্জ্বল নাকফুল | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1060893 | এ দেশে নাকফুল শুধুই একটি গয়নার নাম নয়। স্মৃতিমধুর কিছু উদাস সময়েরও নাম। মায়ের নাকে দুপুরের রোদ পড়ে ঝিক করে ওঠা আলোর নাম নাকফুল। কিংবা পথের পাঁচালিতে দুর্গার আনমনে বলে যাওয়া ‘হলুদ বনে বনে, নাকচাবিটি হারিয়ে গেছে, সুখ নেইকো মনে’ ছড়া পড়ে উদাস হয়ে যাওয়া কিশোরীটির ছেলেবেলার নামও নাকফুল। আকৃতি, নকশা বা রং বদলে নাকফুল বারবার ঠাঁই করে নিয়েছে এ দেশের সাধের গয়নার তালিকায়। নতুন চেহারা আর ধারা নিয়ে নাকফুল এখন আবার জনপ্রিয়।নাক ফোঁড়ানো নেই, তাই পরা হয় না নাকফুল। এ কথাকে বিদায় দেওয়া যায়। এখনকার নাকফুলগুলোর সুবিধাই হলো এটা। বানানোই হচ্ছে এমনভাবে যে কেউ পরতে পারবেন। নকশাগুলোতেও বেশ ভিন্নতা পেয়ে যাবেন। কখনো থাকছে দেশীয় নকশার ছোঁয়া, কখনো বা পেয়ে যাবেন অন্য দেশের নকশার ছোঁয়া। গয়না নির্মাতা কনকের প্রধান ডিজাইনার ও স্বত্বাধিকারী লায়লা খায়ের জানালেন, দেড় বছর ধরেই বড় নাকফুলের প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছিল সবার। আজকাল পোশাক ও অনুষঙ্গে পড়েছে পশ্চিমা প্রভাব। সেখানে কান-গলা-হাতের গয়না পুরোপুরি মানায় না। তিনি বললেন, ‘আমাদের দেশি নাকফুল অদ্ভুত সুন্দর লাগে। পশ্চিমেরই আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, অতিরিক্ত ঝলমলে ধাতু যেমন সোনা, হিরার ব্যবহার এড়িয়ে চলা। সেই চাহিদা পূরণ করছে রুপা। অতিরিক্ত ঝলমলও করে না, আবার ঐতিহ্যবাহী নকশা ফোটালেও দারুণ মানায় যেকোনো পোশাকের সঙ্গে। অবশ্য এটি যে সম্পূর্ণ পশ্চিমের রীতি, তা কিন্তু নয়।’ আমরা যারা রবিঠাকুরের ছোটবেলার স্মৃতিচারণা পড়েছি, সেখানে দেখেছি, সেই সময়ের নারীরাও সোনার গয়নার ওপরে একটি আলাদা কাপড় জড়িয়ে রাখতেন, যেন অতিরিক্ত চকচক না করে। গয়নার চাকচিক্য কমিয়ে অভিজাত রূপ দেওয়ার চর্চা আমাদের প্রাচীন রীতির অংশ।একটু সাদাটে ধরনের ধাতুতে তৈরি এই নতুন ধাঁচের নাকফুলগুলো মূলত তৈরি হয় দেশি ও জার্মান রুপায়। পাশাপাশি অন্য ধাতু যেমন পিতল বা দস্তায়ও তৈরি হচ্ছে। ধাতু যা-ই হোক, তাতে অক্সির কাজ বেশি দেখা যাচ্ছে। আড়ংয়ের অ্যাকসেসরিজ বিভাগের প্রধান নির্বাহী শাহীনা রাব্বি বলেন, ‘আমরা মূলত রুপার নাকফুলগুলোই রাখি। অন্যান্য ধাতুতে নাক পেকে যাওয়ার কিংবা দাগ হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। বিশেষ কিছু আয়োজনে এই নাকফুলগুলো খুব মানায়। গায়েহলুদ, মেহেদি উৎসব, পূজা কিংবা যেকোনো দেশি সাজের সঙ্গে পরতে এই নাকফুলগুলো কিনছেন তরুণীরা। তবে যাঁরা কৈশোরের সীমা পেরিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেই এগুলোর কদর বেশি।’একই কথা বলছিলেন অনলাইনভিত্তিক দোকানের উদ্যোক্তা হাটবাজারের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ফাতেহা আক্তার। তিনি বললেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণী, কর্মজীবী ও সদ্য বিবাহিতা নারীদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বড় নাকফুল। এগুলোর ডিজাইনে থাকছে জয়পুরি কাজ, ফুল, পাতা ও তারার আকৃতি এবং নকশা। জ্যামিতিক ধাঁচের মাঝে আছে গোল, তিনকোনা কিংবা রেখার বিভিন্ন আকৃতি। শুধু নকশা নয়, কিছু নাকফুলে থাকছে রং ও পাথরের কারুকাজও।এই নাকফুল খুঁজতে গিয়েছিলাম চাঁদনি চকের গয়নাগুলোর দোকানে। নাচের ও অক্সি ধাঁচের গয়নার বিশেষায়িত দোকানগুলোতে পাওয়া গেল এমন নাকফুলগুলো। পায়েল জুয়েলার্সের অন্যতম নির্বাহী মো. রিপন বললেন, এই নাকফুলগুলোতে মাদ্রাজি একটা প্রভাব আছে। শুধু পাথর বা রুপার বসানো বা টিপ নাকফুল নয়; দক্ষিণ ভারতের ঝোলা, ভারী কাজ করা নাকফুলগুলোও অনেকে খুঁজছেন এখন। সামনে ওগুলোর জনপ্রিয়তাও বাড়বে বলে ধারণা করছেন তিনি। আরও বললেন, নকশাগুলো মূলত প্রভাবিত হতে পারে, ম্যাটেরিয়াল তো দেশেই পাওয়া যায়।সাজনাকফুল নিয়ে সবচেয়ে সত্যি কথাটা সম্ভবত এই যে সবার নাকে সব নাকফুল মানায় না। নাক ও মুখের আকৃতির সঙ্গে নাকফুলের সমীকরণ মেলাতে পারলেই আপনার লুক বদলানো সম্ভব। এই যেমন মুখ ছোট হলে নাকফুল ছোট হবে, মুখ বড় হলে নাকফুলও বড়। সমীকরণ না মিললেও সমস্যা নেই, শখ তো শখই। মেকআপ আর পোশাকের জ্যামিতিতেও কিন্তু নাকফুল ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। কিউবেলার প্রধান রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নি বললেন, নাকফুল ফোটাতে মেকআপ হালকা হওয়া চাই। শীতের সময় উজ্জ্বল বেগুনি, বারগেন্ডি রংগুলো চলছে। তবে দিন ও রাত বুঝে রং বাছাই করতে হবে। কাজল অবশ্যই পরবেন। সঙ্গে সুতির সালোয়ার-কামিজ আর শাড়ি পরতে পারেন। সুতির পোশাক আর কাজলের প্রতি যাঁদের আসক্তি প্রবল, তাঁদের কাছে ঝোলা নোলক সব সময়ই পছন্দের। নাকফুল বা নথ ছাড়াও এই সময়ে আবার শুরু হয়েছে নথের চল। বলে রাখা ভালো, নোলক ও নথে ঠাঁই করে নিচ্ছে সোনালি রং ও পাথরের কারুকাজ। ওখানে রুপার রংটা নেই বললেই চলে। দরদামএই নাকফুলগুলোর দাম বেশি না। আড়ং, দেশি দশের মতো ব্র্যান্ডের দোকানে দাম শুরু হবে ৩০০ কি ৫০০ টাকায়। অনলাইনে ফরমাশ দিলে ২৫০ টাকা থেকে শুরু হবে দাম। চিরচেনা নিউমার্কেট ও চাঁদনীচকে ১০০ কি ২০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন একটি নাকের ফুল। দামি পাথর যেমন হিরা, জিরকনের কাজ করা নাকফুল চান? তবে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাবে। তবে কোনো দামই যে নাকফুলের জন্য নারীর চিরায়ত আবেগের কাছে কিছু না, এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। | 284,228 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ এপ্রিল ২০১৫, ১৬:৪৬ | ১১ এপ্রিল ২০১৫, ২২:৫৭ | -1 | null | উদ্যোক্তা সম্মাননা পেলেন ২৩ তরুণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/500791 | সবাই তরুণ উদ্যোক্তা। অন্যদের চাকরি না করে নিজেই কিছু করতে চেয়েছিলেন। তাঁদের কেউ তথ্যপ্রযুক্তি, কেউ পণ্য বা সেবা, কেউবা পর্যটনসহ নানা ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সফলতার মুখ দেখতে অনেক কাঠখড়ও পুড়িয়েছেনও কেউ কেউ।অনেক বাধা এসেছে সামনে, তবু হার মানেননি। তাঁরা এখন অনেকটাই সফল। নিজের প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করানোর পাশাপাশি তাঁদের প্রতিষ্ঠানে এখন আরও অনেককে চাকরিও দিয়েছেন। সারা দেশের এমন ২৩ তরুণ উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিয়েছে ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’।গত শুক্রবার বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’ গ্রুপের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তরুণদের এ সম্মাননা জানানো হয়।‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’ গ্রুপটি ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ২৩ উদ্যোক্তা সম্মাননার মধ্যে ১৩টি ছিল নবীন উদ্যোক্তা স্মারক। এই সম্মাননা পেয়েছেন ইমরাজিনা খান (ক্রিয়েটিভ কিটেন), লিটন দেবনাথ (কক্সবাজারশপডটকম), ফারজানা হাসিন (সাফান ট্রেডস ইন্টারন্যাশনাল), খালেদ (বন্ধুডটকম), দেওয়ান সায়েদুর রহমান (স্কিলড হোম সফট), আসফিয়া আহমেদ ও মাহমিদ হাসান (সুগার পাফ), কায়সার হামিদ (নিউ মুন ক্লদিং ডিজাইন হাউস), মো. শামসুদ্দিন জাফর (বিডিঅ্যাগ্রোমার্কেট), সালেহিন সাগর (টেককেয়ারবাংলাদেশ), মুনাফ অর্ণব (গ্রিনআইটি), সৈয়দ রেজওয়ানুল ইসলাম রুবেল (টেকনেক্সট), আবু আশরাফ মাসনুন (ট্রানসেনডিও), ইমা নাইরা (দ্য পপ আপ ফ্যাক্টরি)।এ ছাড়া উদ্যোক্তা স্মারক পেয়েছেন নয়জন। এঁরা হলেন মাহমুদুল হাসান (ফ্রিল্যান্স আইটি ল্যাব), শফিউল আলম (অ্যাডভান্স অ্যাপ বাংলাদেশ), সীমা হালদার (রংধনু জামদানি), এস এম বায়েজিদ (ভাইপারডটকমবিডি), আশিকুর আলম খান (প্রিয়শপডটকম), বিপ্লব ঘোষ (ই-কুরিয়ার), নাহিদা পারভীন (আইটিসলিউশনদিনাজপুর), সাইফুল ইসলাম (আমারগেজেট) ও আরাফাত রহমান (বাইনারি ইমেজ)।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনান জন্য মাহমুদ হাসান খানকে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাবান্ধব গণমাধ্যম-২০১৪ পুরস্কার পায় যমুনা টেলিভিশন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা উদ্যোক্তাদের আরও এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, উদ্যোক্তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নানা রকম কর্মসূচি নিচ্ছে।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সবুর খান, বিডিভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত হোসেন, বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর, বিশ্বের উদ্যোক্তাবিষয়ক প্রতিযোগিতা স্টার্ট আপ কাপের প্রতিষ্ঠাতা সিন গ্রিফিন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারাকসিয়া মার্টিরোসিয়ান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক ও গনিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। | 130,375 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০৩ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৫ | ০৩ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৫ | বাণিজ্য,বিশ্লেষণ | 0 | অবকাঠামো বিনির্মাণে বছরে ১ হাজার কোটি ডলার দরকার | http://www.prothom-alo.com/economy/article/183214 | অবকাঠামো ঘাটতি পূরণে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৭৪০ থেকে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। অন্যভাবে বললে, প্রতিবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ব্যয় করতে হবে অবকাঠামো উন্নয়নে।আবার এই অবকাঠামোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যাতায়াত খাতেই বছরে ৩৬০ থেকে ৫৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা মোট বিনিয়োগের অর্ধেকের বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই টাকার অঙ্কে বাংলাদেশকে বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।গতকাল বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘অবকাঠামো ঘাটতি কমিয়ে দারিদ্র্য হ্রাস’ শিরোনামের প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদনে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এসব দেশে কী পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন, তার হিসাব দেওয়া হয়েছে।প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য পাঁচটি উপখাত চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে যাতায়াত তথা সড়ক ও রেল অবকাঠামোকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেক এই খাতে বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। অন্য খাতগুলো হলো বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা, টেলিযোগাযোগ, সেচ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জনগণ কেমন অবকাঠামো সুবিধা পায়, তার একটি চিত্রও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে ৫৮ জন মুঠোফোন কিংবা ল্যান্ডফোন সুবিধা পায়। আর বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় এসেছে। উন্নত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার সুবিধা পায় ৫৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী। আর ৮৩ শতাংশ জনগণের কাছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।তবে সড়ক সুবিধার হিসাব দিতে গিয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রতি এক হাজার ব্যক্তির জন্য ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে প্রতি এক হাজার ভুটানবাসীর জন্য। ভারতীয় নাগরিকেরা এই হিসাবে সুবিধা পায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ১৯৯০-২০১২ সাল পর্যন্ত পানি সরবরাহ ও পয়োব্যবস্থাপনা, যাতায়াত, জ্বালানি ও টেলিযোগ—এই চারটি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ চিত্র প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।এতে দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশে শুধু টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানি খাতেই বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে টেলিযোগাযোগ খাতে ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। আর জ্বালানি খাতে মাত্র ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বেসরকারি বিনিয়োগের আলোচ্য চারটি খাতেই বেসরকারি খাত থেকে ভারতে মোট ৩০ হাজার ৬৩২ কোটি ডলার বিনিয়োগ এসেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যাপক অবকাঠামো ঘাটতি রয়েছে। এই অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন ও কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ২০২০ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ছয় হাজার ৪০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভারতের। এই দেশটির দরকার এক লাখ ৭২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের মধ্যে বৈষম্যরোধে পরিবার ও ব্যক্তি পর্যায়ে অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ জন্য অবকাঠামো খাতে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আর সমৃদ্ধি অর্জনই নীতিকৌশলের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।এদিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে প্রতিবেদনের সহ-লেখক ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার টেকসই উন্নয়নবিষয়ক অর্থনীতিবিদ লুইস আন্দ্রে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে না। নগরায়ণের গতিও শ্লথ। এ ছাড়া ব্যাপক অবকাঠামো ঘাটতি রয়েছে। এগুলো ভবিষ্যতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। | 63,189 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২৭ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১ | ইউরোপ | 0 | ভাগাভাগির প্রস্তাব | http://www.prothom-alo.com/international/article/132490 | ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষস্থানীয় পদ বিরোধীদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা গতকাল রোববার রাজধানী কিয়েভের আরেকটি সরকারি ভবনের দখল নিয়েছেন। রাশিয়ার চাপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে একটি চুক্তি করা থেকে প্রেসিডেন্ট পিছু হটায় দুই মাস আগে ইউক্রেনে বিক্ষোভ শুরু হয়। সংকট নিরসনে প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ গত শনিবার নেতৃত্ব ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দেন। তিনি বিরোধী নেতা আরসেনিই ইয়াৎসেনুককে প্রধানমন্ত্রী এবং ভিতালি ক্লিতসুকোকে উপপ্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এএফপি ও রয়টার্স। | 46,886 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২০ নভেম্বর ২০১৫, ০০:১৭ | ২০ নভেম্বর ২০১৫, ০০:১৯ | বাণিজ্য | 0 | এসএমই ঋণের সুদহার কমানোর উদ্যোগ | http://www.prothom-alo.com/economy/article/688399 | ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে দেওয়া ঋণের সুদহার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য এসএমইসহ অন্যান্য খাতের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান নিম্নতর এক অঙ্কে সীমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসএমই খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃ অর্থায়নসহ বিভিন্ন সুবিধা দিলেও ব্যাংকগুলো এ খাতে উচ্চ সুদহার আরোপ করছে। তাই এসএমই খাতের ঋণের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান (গড় ভারিত্বের ভিত্তিতে) নিম্নতর এক অঙ্কে সীমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি অন্যান্য খাতের ঋণকে এসএমই ঋণ হিসেবে না দেখানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একাধিক বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসএমই ঋণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিংয়ের হার কম থাকায় অনেক ব্যাংক অন্যান্য খাতের ঋণকেও এসএমই ঋণ হিসেবে দেখিয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যান্য খাতের ঋণকে এসএমই ঋণ হিসেবে না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। | 176,093 |
প্রতিনিধি, নালিতাবাড়ী, শেরপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ মে ২০১৯, ১২:০৬ | ১০ জুন ২০১৯, ১৭:৪৩ | নালিতাবাড়ী,শেরপুর,ময়মনসিংহ বিভাগ,নির্বাচন | 0 | মেয়াদের চার বছর পর ভোট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1596749 | শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী গারোদের সংগঠন ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তিন বছর মেয়াদের কমিটি কুক্ষিগত করে সাত বছর ক্ষমতায় থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে ভোটারদের আন্দোলন–সংগ্রামের মুখে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাল ৩১ মে গারোদের অধিকার আদায়ের এ সংগঠনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে উপজেলায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ‘ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ১৯৯৯ সালে সংগঠনটির নিবন্ধন করা হয়। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী, সংগঠন পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের কার্যকরী কমিটি থাকবে। তিন বছর মেয়াদ শেষে কমিটির উদ্যোগে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।২০১৩ সালের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লুইজ নেং মিং জা, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রাণজল দ্রং ও জেনারেল সেক্রেটারি সম্পাদক পদে লরেন্স দ্রংসহ ১৫ সদস্যের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৫ সালে এই কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন না দিয়ে তাঁরা সময়ক্ষেপণ করেন। তখন নির্বাচনের দাবিতে অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের সদস্যরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। পরে নির্বাচনের আদেশ থাকলেও আওয়ামী লীগের একজন নেতার হস্তক্ষেপে নির্বাচনের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।আবার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা নির্বাচন চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১৩ তারিখে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ১৫টি পদে আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। ২২ মে যাচাই–বাছাই শেষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৩১ মে পৌর শহরের গড়কান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।১৫টি পদের মধ্যে ১৩ পদে একাধিক কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁরা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। শুধু চেয়ারম্যান ও জেনারেল সেক্রেটারি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান কোপেন্দ্র নকরেক। তাঁর প্রতীক হচ্ছে চেয়ার। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছাতা প্রতীক নিয়ে অঞ্জন পাঠক। আর জেনারেল সেক্রেটারি পদে হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন হিরণ চন্দ্র বর্মণ। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিশ্বজিৎ রুদ্র।নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বন্দনা চাম্বু গং, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে উমা রানী হাজং, কোষাধ্যক্ষ পদে লিটন হাজং, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে গলিয়াদ রেমা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সুনীল সিংহ, নারী শিশু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক পদে পরিমল বর্মণ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অন্তর চাম্বু গং নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্মানিত সদস্য হিসেবে উমা কান্ত বিশ্বাস, সূর্য ডালু, প্রমেল রিছিল, সুমন চিরান, রনিতা কোচ ও সুকান্ত বর্মণ নির্বাচিত হয়েছেন।নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া আছেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলা তুন নেছা ও নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন। ৩১ মে চেয়ারম্যান ও জেনারেল সেক্রেটারি পদের ভোট গণনা শেষে তিন বছরের জন্য ১৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে।ভোটার ক্লোডিয়া নকরেক কেয়া বলেন, ‘ক্ষমতার প্রভাবে সাবেক কমিটি তিন বছরের জায়গায় সাত বছর জোর করে দায়িত্বে ছিল। এ নিয়ে নির্বাচনের দাবিতে আমরা লড়াই করেছি। অবশেষ আমাদের জয় হয়েছে। ৩১ মে চেয়ারম্যান ও জেলারেল সেক্রেটারি পদে নির্বাচন হবে। ভোটাররা যাকে পছন্দ করবেন, তাঁকে নির্বাচিত করবেন।’নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বন্দনা চাম্বু গং বলেন, সাবেক কমিটির মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হয়। কিন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতার কারণে বিনা নির্বাচনে ওই কমিটি আরও চার বছর দায়িত্বে ছিল। আন্দোলনের ফলে এখন নির্বাচন হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভালোমন্দ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জনগণই ভালো বোঝেন।অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রাণজল দ্রং বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে রেজল্যুশনের মাধ্যমে আমরা আরও চার বছর দায়িত্ব পালন করেছি। এখানে ক্ষমতার থাকার জন্য কোনো টালবাহানা করা হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।’ | 404,259 |
আদালত প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৪ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৪ | রাজধানী (জাতীয়),আইন ও বিচার | 0 | মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/150718 | ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার ওরফে শোভন হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম ছাবরিনা আলী অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পলাতক আসামির নাম রেদোয়ানুল আজাদ ওরফে রানা। আদালত ২০ মার্চ পরোয়ানা জারিসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন।গত ২৯ জানুয়ারি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানী ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। গতকাল তা গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। অভিযোগপত্রে আসামি রেদোয়ানুল আজাদকে পলাতক দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা।অভিযোগপত্রভুক্ত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলেন মো. ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপ, মাকসুদুল হাসান ওরফে অনীক, মো. এহসান রেজা ওরফে রুম্মান, নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ, নাফিস ইমতিয়াজ, সাদমান ইয়াছির মাহমুদ ও রেদোয়ানুল আজাদ ওরফে রানা।অভিযোগপত্রে বলা হয়, জসীমউদ্দিনের বই পড়ে এবং সরাসরি তাঁর বয়ান ও খুতবায় অংশ নিয়ে ব্ল্লগারদের খুন করতে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হন সাত আসামি। এরই ধারাবাহিকতায় রাজীব খুন হন। রাহমানী খুনের উসকানিদাতা। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী পলাতক আসামি রেদোয়ানুল আজাদ। | 52,539 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৫০ | ১৫ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৫১ | রাজধানী (জাতীয়),মহানগর,অপরাধ | 0 | এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/343921 | ভাষানটেকের বাসিন্দা নাসির হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শরীফ ওরফে চোক্কাকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।শরীফকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাইদুর রহমান। পুলিশ জানায়, থানার পুলিশের পাশাপাশি ডিবি মামলাটির ছায়া তদন্ত করছে।গত শুক্রবার নাসিরকে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। | 100,674 |
রাশেদুল ইসলাম | sports | খেলা | ০১ মার্চ ২০১৯, ২১:৪৬ | ০১ মার্চ ২০১৯, ২২:১১ | ফুটবল | null | অদম্য মেয়ের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ফুটবলে উড়তে পারে বাংলাদেশের পতাকা! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1581435 | এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার সেরা আটে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজরা। চূড়ান্তপর্বের সেরা তিনটি দল খেলবে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে। চতুর্থ হওয়া দলটির সামনেও প্লে অফ খেলে সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপ খেলার।‘দিদি’ হবে তো?এক গাল হাসি দিয়ে ‘দাদা! হবে, হবে, হবে।’প্রশ্নটি পুরোপুরি খুলে বলতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ‘হবে তো’ মলাটের প্রশ্নটা ঠিকই বুঝে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। জবাবে এই প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করে তিনবার বলেছিলেন ‘হবে।’ দলের ওপর কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে একজন অধিনায়ক নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেন, এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবেই বাংলাদেশ। আজ বোঝা গেল ফাঁকা বুলি ওড়ানোর মেয়ে মারিয়া নন, যা বলে-তা করে দেখানো সামর্থ্যও রাখে তার দল। যেমন অধিনায়ক, তেমন তার দল।ঘরের মাঠে বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডের বাধা অনায়াসে পার হয়ে যাওয়ার পর মারিয়াদের ওপর আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল ঠিকই। কিন্তু উল্টো পিঠেই কত শঙ্কা, কত উদ্বেগের চোরাস্রোত! মিয়ানমারের মাটিতে পারবে তো বাংলাদেশের মেয়েরা? লড়াইটা হবে ‘সেয়ানে সেয়ানে।’ বাংলাদেশের গ্রুপে আছে ফিলিপাইন, স্বাগতিক মিয়ানমারসহ শক্তিশালী চীন। প্রাচ্যের চীন পর্যন্ত যেতেই হলো না। এর আগেই ফিলিপাইন ও মিয়ানমারকে টানা দুই ম্যাচে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার সেরা মঞ্চ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে আগেই জায়গা ঠিক করে রেখেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া, তৃতীয় জাপান ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড। এই দলগুলোর সঙ্গে যোগ হবে দ্বিতীয় পর্বের সেরা চার দল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ইতিমধ্যে টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ও চীন। বাকি দুইটি দলও নিশ্চিত হওয়ার পথে। আট দলের এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপ শুধুই চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখান থেকে সেরা তিনটি দল খেলবে ২০২০ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ। মারিয়ার নেতৃত্বে পারবে তো বাংলাদেশ? এশিয়ার সেরা আটে জায়গা করে নিয়ে এক লাফে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা বাড়াবাড়িই। তবে মারিয়া তো হার মানার নয়। মারিয়ার জীবনের গল্পের পরতে পরতে তো লেখা আছে এক সংগ্রামী মেয়ের হার না মানার গল্প। যে গল্পটা হতে পারে দেশের মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।বাবা মারা গেছেন, বিষয়টি বোঝার বয়সও তখন হয়নি ছোট মেয়েটির। স্বামীকে হারিয়ে জীবনের উত্তাল সাগরে নাও ভাসিয়েছেন মা এনাতো মান্দা। সহায়-সম্বল বলে কিছু নেই বলে ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে কাজ নিলেন গৃহপরিচারিকার। আর যা-ই হোক, ছেলেমেয়েদের মুখে তো তুলে দিতে হবে দুমুঠো ভাত। টিকিয়ে রাখতে হবে তাদের মানুষ হওয়ার স্বপ্ন। সেই ছোট মেয়েটি আজকের মারিয়া। কত বাধা পাড়ি দিয়ে এসে নিজেকে একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তৈরি করা যায়, তা মারিয়ার জীবনগল্পের প্রতিটি প্যারাতে লেখা।বাবা বীরেন্দ্র মারাতের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে হা করে তাকিয়ে থাকে মারিয়া। বাবার কোনো স্মৃতিই যে নেই তার। মা এনাতোই একসঙ্গে তার ‘বাবা ও মা’। মারিয়াদের তিন বোন ও একমাত্র ভাইকে মানুষ করতে কী অমানুষিক কষ্টই না করেছেন এনাতো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন, তা দিয়েই মারিয়াদের চার ভাইবোনের জুটত দুমুঠো ভাত। অনেক দিন তো মা ও বড় বোনের সঙ্গে কাজে হাত লাগাতে হয়েছে মারিয়াকেও। যে মারিয়ার ফুটবলের বাইরের জীবনটা কষ্টের কালো ডায়েরি।ফুটবলটাই মারিয়ার জীবনে ফুটিয়েছে হাসি। ২০১১ সালে বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট উপলক্ষে খালি পায়ে ফুটবলে হাতে খড়ি হয় ময়মনসিংহ জেলার মেয়েটির। ২০১৩ সালে ধোবাউড়ার বিখ্যাত কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের সদস্য। এর পরেই তার পায়ে ওঠে বুট। আর বদলাতে থাকে মারিয়ার পৃথিবী। হ্যাঁ, তখনো কিন্তু মারিয়াকে পাশের বাড়িতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে গৃহপরিচারিকার কাজে হাত লাগাতে হতো।২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় দলে ডাক পায় মারিয়া। তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে তার সহ-অধিনায়কত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। গত বছর ঢাকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলের সহ-অধিনায়কও ছিল মারিয়া। এরপরে জায়গা করে নেয় মূল জাতীয় দলে। শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত সাফে বাংলাদেশের রানার্সআপ হওয়ার পেছনে ছোট মারিয়ার অবদান কম নয়। যার ফল স্বরূপ কিশোরীদের অধিনায়ক।মাঠে অধিনায়ক মারিয়ার খেলার ধরনটা পাক্কা রাঁধুনির মতো। তাকে কিছুটা মেলানো যায় স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটসের সঙ্গে। পা থেকে বল কেড়ে নিতে হবে, সেখানে মারিয়া। আবার মাঝমাঠে বল দখলে রাখতে হবে, সেখানেও আছে খর্বাকৃতির মেয়েটি। বল পায়ে নাও, প্রয়োজন হলে হোল্ড কর, সুযোগ হলে দ্রুত উইংয়ে ভালো একটি পাস দাও। এক কথায় সাধারণ ফুটবল। কিন্তু কজনই-বা পারে এভাবে খেলতে? মারিয়া মান্ডা এত সহজভাবে দারুণ খেলতে পারে বলেই তো সে আলাদা।এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করার আগে মারিয়ার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব ১৫ সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। দরিদ্র ঘরে জন্ম, পরিবারের জন্য গৃহপরিচারিকার কাজে সহযোগিতা, তবুও কত বাধা পেরিয়ে আসা এক চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক পেয়েছে বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ এসেছে। কাজটি অনেক কঠিন। কিন্তু মারিয়ার জীবনের গল্পটাই বলছে তাঁর নেতৃত্বে এশিয়ান কিশোরী ফুটবলে নাড়া দিতে যাচ্ছে লাল-সবুজরা।বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন হেসে উড়িয়ে দেওয়ার আগে মারিয়ান কথাগুলো শুনুন। প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মারিয়া তার লেখনীতে বলেছিল, ‘আমি স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশের মেয়েরা একদিন ফুটবলে বিশ্বকাপের জন্য লড়বে। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা হয়েছি। এএফসি কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসিয়ান, এশিয়ার মধ্যাঞ্চলের দেশগুলোকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছি। দেখিয়ে দিয়েছি বয়সভিত্তিক ফুটবলে আমরাই এই অঞ্চলের সেরা। এখন আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপে খেলা। আমরা বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ | 392,158 |
ইনচন থেকে প্রতিনিধি | sports | খেলা | ০২ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৪১ | ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৮ | সাকিব আল হাসান,খেলা,মাশরাফি বিন মুর্তজা,দেশের ক্রিকেট | null | সাকিবকে পেয়ে খুশি মাশরাফি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/335875 | সহ-অধিনায়ক হয়ে কি তাহলে খুশি হননি সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল! প্রশ্নটা আসছে কারণ, কোনো ক্রিকেট বোর্ড কাউকে অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক করলে একটা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া তাঁদের কাছ থেকে জানা যায়ই। মাশরাফি বিন মুর্তজা যেমন ওয়ানডে অধিনায়ক হয়ে পরশুর পর কালও প্রতিক্রিয়া জানালেন। কিন্তু টেস্টের সহ-অধিনায়ক তামিম এবং ওয়ানডের সহ-অধিনায়ক সাকিব কাল পর্যন্ত এ নিয়ে একেবারেই নিশ্চুপ!কাল কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা তামিমের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কিছু বলবেন না বলে চলে যান। কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি সাকিবও। এটুকু পড়লে হয়তো মনে হবে বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি হননি। বাস্তবে তা নয়। সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে পরিস্থিতিকে রহস্যময় করে তুলতে চাইলেও আদতে দুজনই নাকি বেজায় খুশি সহ-অধিনায়ক হয়ে। গেমসে ভিলেজে তাঁদের চোখে-মুখে সে খুশির আভা দেখছেন অনেকেই। আর বোর্ডও দুজনের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলাপ-আলোচনা করেই নিয়েছে এই সিদ্ধান্ত।মাশরাফি অবশ্য পরশু দিনই তাঁর ওপর আবারও আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বোর্ডের প্রতি। কাল ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গটা উঠলে আবারও সে কথাই বললেন। সঙ্গে জানালেন, ‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা সব সময়ই বিশেষ কিছু। আমার ওপর যেহেতু আস্থা রাখা হয়েছে, ইনআশাল্লাহ চেষ্টা করব নিজে ভালো খেলার এবং দলকে ভালো ফলাফল এনে দেওয়ার। এটা বড় দায়িত্ব, আশা করি আমি এবার ভালোভাবে করতে পারব।’এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু তাঁর এমনই দুর্ভাগ্য যে প্রথম টেস্টেই চোট পেয়ে লম্বা সময়ের জন্য ছেড়ে যান মাঠ। পরে নেতৃত্ব ওঠে সাকিবের কাঁধে। নতুন করে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর সেই স্মৃতিটাও ফিরে আসছে মাশরাফির কাছে, ‘কিছু ভয় অবশ্যই থাকে...যেটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছে সব সময়। সুযোগ পেয়েও চোটের জন্য অধিনায়কত্ব করতে পারিনি। সে জন্য একটা ভয় থেকেই যায়।’ তবে মাশরাফি আত্মবিশ্বাসী, এবার আর সে রকম কিছু হবে না, ‘আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে। এর আগে দুবার ইনজুরি হয়েছে, সবাই চিন্তাও করে ওটা নিয়ে। আমারও মাথায় থাকে। তবে চোটমুক্ত থাকার জন্য আমি সব সময়ই কিছু জিনিস মেনে চলার চেষ্টা করি। তার পরও ইনজুরি হলে তো কিছু করার নেই। আমি এই জিনিসগুলো এখনো মেনে চলব এবং খেলব ইনআশাল্লাহ।’ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি ডেপুটি হিসেবে পেয়েছেন সাকিবকে। সাকিব এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিন আর না দিন, তাঁকে সঙ্গে পেয়েই বোধ হয় সবচেয়ে বেশি খুশি মাশরাফি, ‘সম্ভবত সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ই সহ-অধিনায়ক হয়েছে। সাকিব সহ-অধিনায়ক হওয়ায় আমার জন্য কাজট অনেক সহজ হবে। তবে দলকে সাহায্য করতে সহ-অধিনায়ক বা অধিনায়ক হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। একজন খেলোয়াড় সব সময়ই পারে দলকে অনুপ্রাণিত করতে।’ | 98,170 |
অরুণ কর্মকার | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩১ | ২৭ আগস্ট ২০১৬, ০১:৫৪ | সরকার | null | সরকার মুনাফা করলেও দাম কমাচ্ছে না | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/959152 | গত ৪০ বছরে জ্বালানি তেল আমদানি ও বিপণন খাতে সরকার যত টাকা ভর্তুকি কিংবা ঋণ হিসেবে দিয়েছে; শুল্ক, কর ও মুনাফা হিসেবে নিয়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ। বিশ্ববাজারে দাম কম থাকায় এই খাত এখন শুল্ক ও কর ছাড়াও সরকারকে বিপুল অঙ্কের মুনাফা দিচ্ছে। তারপরও সরকার জ্বালানি তেলের দাম আপাতত আর কমাতে চাইছে না।জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় চার দশক আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) গঠিত হওয়ার পর থেকে চলতি আগস্ট মাস পর্যন্ত ৪০ বছরের মধ্যে বিপিসি লোকসান দিয়েছে ২০ বছর। আর ২০ বছর মুনাফা করেছে। এই লাভ-লোকসান সমন্বয় করার জন্য সরকার বিপিসিকে ভর্তুকি বা ঋণ হিসেবে দিয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে এই ৪০ বছরে বিপিসির কাছ থেকে শুল্ক, কর ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ সর্বমোট নিয়েছে ৭৫ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত বিপিসির যে মুনাফা হয়েছে, তার ওপর থেকে লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) হিসেবে সরকার আরও নিয়েছে ১ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।বুয়েটের পেট্রোলিয়াম প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ম তামিম প্রথম আলোকে বলেন, জ্বালানি খাতে সরকার এক দিক থেকে দেয়, আরেক দিক থেকে নেয়। এতে বোঝা যায় না এটা লাভজনক, না অলাভজনক। এটা নিয়ে অস্পষ্টতা থাকা উচিত নয়। সরকার যে বলে এ খাতে ঋণ দিয়েছে, ভর্তুকি নয়। কিন্তু বাজেট বরাদ্দে সব সময় এটা ভর্তুকি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আসছে। জ্বালানি খাতে সরকার কোনো ঋণ দেয় না।২০১৪ সালের জুন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অব্যাহতভাবে কমতে থাকে। কিন্তু গত এপ্রিল পর্যন্ত দেশে দাম না কমানোয় বিপিসি মুনাফা করেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল গত অর্থবছরেই বিপিসি শুল্ক, কর ও মূসক বাবদ সরকারকে ৫ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা দেওয়ায় সরকারের মুনাফা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা।বিশ্ববাজারে এখন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫০ মার্কিন ডলারের কম। জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস অনুযায়ী আরও বছর তিনেক এই দাম ৩০ থেকে ৫০ ডলারের মধ্যেই থাকবে। এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও সরকার আপাতত দেশে দাম কমাতে চাইছে না।বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি না হলে দেশে ছয় মাসের মধ্যে তিন ধাপে দাম কমানো হবে বলে আভাস দিয়ে গত ২৫ এপ্রিল থেকে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমানো হয়। এরপর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ সরকারের মধ্যে নেই। অথচ দাম কমার কারণে গত দুই মাসের মধ্যে ভারতে তিন দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে।গত মে-জুন থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৩০ ডলার থেকে কিছুটা বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে তা প্রায় ৫০ ডলারে উঠেছিল। এরপর আবার তা কমতে শুরু করে এবং এখন তা ৪৫ ডলারের মধ্যে আছে। তা ছাড়া প্রায় তিন বছর ধরে দেশে অকটেন ও পেট্রল আমদানি করতে হচ্ছে না। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের উপজাত হিসেবে পাওয়া কনডেনসেট দিয়ে দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে চাহিদার শতভাগ অকটেন-পেট্রল। ফলে সরকারের মুনাফা হচ্ছে আরও বেশি।এ ব্যাপারে ম তামিম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের উচিৎ জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা। এই খাত তো অলাভজনক নয়। বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করলেও এটা লাভজনকই থাকবে।বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে এপ্রিলের পর আর কোনো আলোচনা হয়নি। এখন আবার আলোচনা শুরু করা হতে পারে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, আপাতত দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে প্রক্রিয়া এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) চলছে, তা শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে চিন্তা করা হতে পারে।জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে বহু আলাপ-আলোচনার পর গত মার্চ-এপ্রিলে সরকার তিন ধাপে জ্বালানি তেলের (অকটেন, পেট্রল ও ডিজেল) দাম লিটারপ্রতি মোট ২০ টাকার মতো কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় গত ২৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমানো হয়; প্রকৃতপক্ষে যার কোনো সুফল সাধারণ মানুষ পায়নি। কারণ, এটুকু দাম কমানোর ফলে কোনো ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের ব্যয় সাশ্রয় হয়নি।জ্বালানি তেলের মধ্যে ডিজেল, ফার্নেস ও কেরোসিনের দামের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত। ডিজেল ব্যবহৃত হয় বাস-ট্রাক, লঞ্চ-স্টিমার, ট্রেন এবং কৃষিতে সেচের কাজে। কাজেই ডিজেলের দাম কমলে যানবাহনের ভাড়া ও কৃষির খরচ কমে। প্রতি লিটার ডিজেলের দাম মাত্র ৩ টাকা কমানো হলেও সেচ ও যানবাহনের ব্যয়ভার অবশ্যই কিছু কমেছে। কিন্তু তার পরিমাণ এতই কম যে যানবাহনের ভাড়া কমেনি।আর্থিক বিবেচনায় ডিজেলের দাম যে প্রতি লিটারে ৩ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা কমানো যেত না, তা নয়। কারণ, ৩ টাকা কমানোর পরও প্রতি লিটার ডিজেলে বিপিসির মুনাফা হচ্ছে প্রায় ২৫ টাকা। সরকারি হিসাবে গত মৌসুমে সেচে ডিজেল ব্যবহৃত হয়েছে ৯ লাখ টনের বেশি। প্রতি লিটারে ৩ টাকা কমায় এই ৯ লাখ টন ডিজেলের জন্য পাম্পমালিকদের সাশ্রয় হয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিন্তু দাম কমানোর মাধ্যমে বিপিসি তথা সরকারের ছেড়ে দেওয়া এই অর্থের কোনো সুফল কৃষক পর্যায়ে পৌঁছেনি।ফার্নেস তেল ব্যবহৃত হচ্ছে মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এই তেলের দাম কম থাকলে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয়ও কম পড়ে। ফলে সেই সুবিধা বর্তমানে পায় দেশের প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষ। সরকার গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ফার্নেসের দাম প্রতি লিটারে ১৮ টাকা কমিয়ে ৪২ টাকা করে। কিন্তু এর দাম আরও কমানো যেত। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ফার্নেসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারদরের সমান করা উচিত, যা বর্তমানে প্রতি লিটার ৩০ টাকার মতো। তাতে বিদ্যুতের দামে স্থিতাবস্থা রাখা সম্ভব হবে।গত এপ্রিলে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুফল সাধারণ মানুষ না পেলেও বিত্তবানেরা যথেষ্টই পেয়েছেন। মূলত ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহার্য অকটেন ও পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমানোয় অকটেন ব্যবহারকারীদের সাশ্রয় হচ্ছে বছরে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। আর পেট্রল ব্যবহারকারীদের সাশ্রয় হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সরকার দাম কমানোর ফলে যাঁদের এই সাশ্রয় হচ্ছে, তাঁরা সবাই বিত্তবান কিংবা অবস্থাপন্ন মধ্যবিত্ত।কিন্তু জ্বালানির দাম কমানোর সুফল যাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া অর্থনীতিতে বৈষম্য কমানোর জন্য জরুরি, তাঁরা কোনো সুফলই পাননি। জ্বালানির দাম আরও কমানো না হলে সড়ক, নৌ, রেল পরিবহন, সেচ প্রভৃতি খাতে ব্যয় সাশ্রয়ের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবে না।জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, গত এপ্রিলে সরকার জ্বালানি তেলের দাম যেটুকু কমিয়েছে, তার কোনো সুফল সাধারণ মানুষ পায়নি। এর সম্পূর্ণ মুনাফা বিত্তবান ও ব্যবসায়ীদের পকেটে গেছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখনো কম। কাজেই দেশেও এর দাম আরও কমানো উচিত। কিন্তু সরকার সেই পথে তো হাঁটছেই না, বরং দেশের প্রধান বাণিজ্যিক জ্বালানি প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও বাড়াতে চাইছে। এটা সাধারণ মানুষের জন্য তো নয়ই, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও ভালো হবে না। | 253,809 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ মার্চ ২০১৬, ১৯:৪৯ | ০১ মার্চ ২০১৬, ১৯:৫৩ | সরকার | 0 | একনেক বৈঠকে ১২ প্রকল্প অনুমোদন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/785539 | অবকাঠামো উন্নয়নসহ ১২টি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি ৫৬ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৯৫৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসসের। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি এবং ‘এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম ফর দ্য পুওরেস্ট’ এর মাধ্যমে নির্মিত মাটির রাস্তার গ্যাপে সেতু কালভার্ট নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। তিনি বলেন, ‘দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপক হারে সেতু, কালভার্ট নির্মাণে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় প্রকল্পটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় প্রকল্প। কোনো বিশেষ এলাকার জন্য নয়। যে সব স্থানে নির্বাচন চলবে সে সব স্থানে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে না। নির্বাচনের পরে যাতে কাজ শুরু করা যায় সেভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তাই নির্বাচনী আইনের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক নয়।’ ভবিষ্যতে দেশে বাঁশের সাঁকো থাকবে নাপরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে দেশে আর কোনো বাঁশের সাঁকো থাকবে না। আমরা এ জন্যই প্রকল্পটি নিয়েছি।’ মন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মোট ৪৮৯ উপজেলায় গ্রামীণ রাস্তায় প্রয়োজন অনুযায়ী সেতু/কালভার্ট না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাসহ দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে জনগণ ও গবাদিপশু দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরে সমস্যা সৃষ্টি হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে মাটির রাস্তার মোট ১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৪ মিটার সেতু-কালভার্ট নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পটিসহ বৈঠকে মোট ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ৬৫০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি ৫৬ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৯৫৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে—উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ১ হাজার ৫৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। বৃহত্তর রাজশাহী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ৩৯৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। চারটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ২৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সাপোর্ট টু জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভূলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি প্রকল্প, এর ব্যয় ২৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জাতীয় মহাসড়ক এন-৮ এর ভূরঘাটা-বরিশাল-লেবুখালী সেতু পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ১০৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। মাদারীপুরে সরকারি অফিসসমূহের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৫৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ২২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। জাতীয় ল্যাবরেটরি মেডিসিন ও রেফারেল সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ১৯৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ১৫১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। লালকুঠি মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৪১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে (বরিশাল ও পটুয়াখালী) ব্রিজ বর্ধন খামার স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ২১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। | 206,393 |
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৪ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৫ | মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | শিক্ষা মেলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1074259 | জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের উদ্যোগে মৌলভীবাজারে শিক্ষা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আহসান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন। মেলায় বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলা এবং ব্র্যাক স্কুল অংশ নিয়েছে। | 290,591 |
মহিউদ্দিন আহমদ | opinion | মতামত | ২৩ জুন ২০১৭, ০০:০৮ | ২৩ জুন ২০১৭, ০০:১২ | মহিউদ্দিন আহমদ,রাজনীতি | null | আওয়ামী লীগ কি কৌশল পাল্টাচ্ছে? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1227771 | ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জীবনে একটি বড় ঘটনা। ১৯৪৯ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া দলটি ৬৮ বছর পেরিয়ে আজ ৬৯-এ পা দিল। এ দেশে রাজনৈতিক দল গজায় ব্যাঙের ছাতার মতো, আবার বুদ্বুদের মতো মিলিয়ে যায়। দল ভেঙে ছত্রখান হওয়ার নজিরও কম নয়। আওয়ামী লীগও ভেঙেছে বারবার। তবে এর মূল ধারাটি সচল রয়েছে এখনো। আওয়ামী লীগের অগুনতি নেতা-কর্মীকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।একটি দল পুরোনো না নতুন, তার ওপর ওই দলের ভালো-মন্দ নির্ভর করে না। এ প্রসঙ্গে শরৎচন্দ্রের কালজয়ী সৃষ্টি শ্রীকান্ত থেকে কয়েকটি লাইন ধার করে বলা যায়, ‘টিকিয়া থাকাই চরম সার্থকতা নহে। অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে, কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।’ ১৯০৬ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় জন্ম নেওয়া মুসলিম লীগ ১৯৪৮ সালে পচে গিয়েছিল। অথচ আওয়ামী লীগ জন্ম নেওয়ার পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৫৪ সালে জনগণের ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হতে পেরেছিল ।ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে সাতটি দশক। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আওয়ামী লীগ কতটুকু এগোল। এখন আওয়ামী লীগকে নিছক একটি রাজনৈতিক দলের কাতারে ফেলা যায় না, যেমনটি বলা যায় কয়েক ডজন খুচরো দলের ব্যাপারে। আওয়ামী লীগ এই কয়েক দশকে কয়েকবার সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। আদর্শিক রাজনীতির রূপান্তর ঘটেছে ক্ষমতার রাজনীতিতে। ক্ষমতার রাজনীতির দুটি দিক আছে। নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারে যেতে হয়।রাষ্ট্রক্ষমতার চাবিটি হাতে পাওয়া এ জন্য খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতা হলো মাধ্যম বা হাতিয়ার, যা লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। অন্যদিকে ক্ষমতা পাওয়াটাই যদি লক্ষ্য বা অভীষ্ট হয়ে দাঁড়ায়, তখন দলের মধ্যে মনোজাগতিক পরিবর্তন ঘটে যায়। একটানা ক্ষমতায় থাকলে একটি দলের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। তাদের মাথায় একটা চিন্তা ঢুকে পড়ে, তাদের বুঝি কোনো বিকল্প নেই, তারা অপরিহার্য।১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের দখল নিলেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁর ইচ্ছাতেই দেশ চলবে। তিনি সব সময় বলতেন, যেখানে পীর-ফকিররা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে মানুষ সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষালাভের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি, সেখানে কেমন করে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখা যাবে? সুতরাং তিনি একটা ‘দেশজ ব্যবস্থা’ উদ্ভাবন করলেন। নাম দিলেন ‘মৌলিক গণতন্ত্র’। ইউনিয়ন কাউন্সিলের (এখন নাম ইউনিয়ন পরিষদ) ৮০ হাজার সদস্যকে নিয়ে তিনি তৈরি করলেন ইলেক্টোরাল কলেজ। তাঁরাই সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। সমালোচকেরা বললেন, আইয়ুব খান ৮০ হাজার ফেরেশতা পয়দা করেছেন।সময়টা তখন একনায়কতন্ত্রের। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ সুকর্ণ ১৯৬৫ সালে নিজেকে আজীবন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করলেন। এক সামরিক অভ্যুত্থানে এক বছরের মাথায় তাঁর পতন হলো। আইয়ুব খানকে আজীবন প্রেসিডেন্ট বানানোর সুপারিশ করার লোকের অভাব ছিল না। তিনি তখন দুটি শব্দের ওপর খুব জোর দিতেন—উন্নয়ন ও ধারাবাহিকতা। অর্থাৎ দেশে তরক্কি আনতে হলে তাঁকেই ক্ষমতায় রাখতে হবে। একবার তিনি একটা ‘সফল বিদেশ ভ্রমণ’ সেরে দেশে ফিরে এলে তাঁকে সোনা দিয়ে মাপার পরিকল্পনা হয়েছিল। কথা ছিল ওজন করে ওই পরিমাণ সোনা তাঁকে ‘উপহার’ দেওয়া হবে। শেষমেশ সেটা হয়নি।তবে ১৯৬৮ সালজুড়ে সারা দেশে সরকার ঘটা করে ‘উন্নয়ন দশক’ পালন করেছিল। বছর শেষ হওয়ার পৌনে তিন মাসের মাথায় তাঁর ‘স্বর্গ হইতে বিদায়’ হলো। তাঁর শেষ জীবনটা ছিল করুণ। তাঁর হাতে গড়া ইসলামাবাদ শহরে তাঁর নামে একটি কানাগলিও নেই। মোসাহেবরা একসময় তাঁকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় জাতির পিতা বলতে শুরু করেছিল। তারা বলত, কায়েদে আজম জিন্নাহ স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, আইয়ুব খান দিয়েছেন উন্নয়ন। বলা বাহুল্য, জিন্নাহর জীবনের শেষ দিনগুলোও ছিল করুণ। একনায়কেরা ক্ষমতার চূড়ায় বসে কল্পনাও করতে পারেন না, সামনের দিনগুলো কেমন যাবে।আমিই সবচেয়ে যোগ্য, আমিই সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক, আমিই মানুষকে সব অধিকার দিয়েছি, আমি না থাকলে দেশ রসাতলে যাবে—এ ধরনের বাগাড়ম্বর উপনিবেশ-উত্তর সব সমাজেই কমবেশি শোনা যায়। চাটুকার-মোসাহেব পরিবেষ্টিত এসব দেশনায়ক বুঝতে অক্ষম যে কীভাবে তাঁদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে।এত কথা বললাম এ জন্য যে বাংলাদেশের এখনকার অবস্থাটা স্বস্তিকর মনে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ এখন দেশের হাল ধরে আছে। দল সভাপতি শেখ হাসিনার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলছেন, তিনি আমাদের উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়নের এই গতি থেমে যাবে, এই আশঙ্কার কথা তিনি বলছেন। তাঁর কথার অর্থ দাঁড়ায়, এ দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। কয়েক দিন আগে জাতীয় সংসদে সরকারের ছোট তরফ জাতীয় পার্টির একজন সাংসদ মুখ ফসকে বলেই ফেলেছেন, শেখ হাসিনাকে আরও দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। দরকার হলে বিনা ভোটে।এই ধরনের চিন্তা সুবিধার মনে হচ্ছে না।স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ও এর প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিকল্প ছিল না। জাতীয় সংসদের ৩০০ সদস্যের মধ্যে ২৯২টিই আওয়ামী লীগের থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু কেন একদল ‘বাকশাল’ বানালেন, তা আজও অনেকের বোধের বাইরে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অনেক বছর পর আবার সরকার গঠন করার সুযোগ পেয়েছিল।১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, কোনো দল পরপর দুবার সরকার গঠন করতে পারেনি। নাগরিকেরা ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করেছিলেন। প্রতিবারই দেখা গেছে, প্রথম দু-এক বছর সরকার ভালোই চলে। শেষ দিকে এসে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জবরদখল লাগামহীন হয়ে পড়ে। ভোটাররা ত্যক্তবিরক্ত হয়ে এক দলকে বাদ দিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। এর ফল যে সব সময় ভালো হয়, তা–ও নয়। তবু নাগরিকদের হাতে যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষমতা থাকে।২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে। আগামী নির্বাচনে তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন নাগরিকেরা। স্বাধীনভাবে ওই সিদ্ধান্ত নাগরিকেরা নিতে পারবেন কি না, তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা এবং নির্বাচন পরিচালনাকারী নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সক্ষমতা ও ভাবমূর্তি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কতটুকু সক্ষম বা পরিপক্ব, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে আগামী নির্বাচনে।আগামী নির্বাচনে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি এখন থেকেই মরিয়া। প্রতিদিন আমরা তাদের বাগ্যুদ্ধ দেখছি এবং শুনছি। নির্বাচনে জেতার জন্য তৈরি হচ্ছে নানা রকমের সমীকরণ। এত দিন একটা প্রচার ছিল, আওয়ামী লীগ মুসলমানবিরোধী দল আর বিএনপি হলো মুসলমানের দল। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। আওয়ামী লীগ এই বিশাল ভোটব্যাংকটায় হাত বসানোর চেষ্টা করছে অনেক বছর ধরে। ২০০৬ সালে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে পাঁচ দফা চুক্তি করে আওয়ামী লীগ নিজেদের খাঁটি মুসলমানের পার্টি হিসেবে জনমনে একটা ধারণা দিতে চেয়েছিল। এক-এগারো ঘটে যাওয়ায় ওটা আর তেমন কার্যকর হয়নি, আওয়ামী লীগও এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করেনি।সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মাশ্রয়ী দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠতা একটা বার্তা দেয়। মুসলমানের দল হিসেবে বিএনপির মনোপলি আওয়ামী লীগ ভাঙতে চায়, চায় বিএনপিকে ধর্মাশ্রয়ী গোষ্ঠীগুলো থেকে যদ্দুর সম্ভব দূরে সরাতে। এটা কি আওয়ামী লীগের ভোটের রাজনীতির কৌশল? নাকি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ভাবজগতে দিনবদলের হাওয়া লেগেছে? সাত দশক পার করা দলটির কাছে এর উত্তর পাওয়া দরকার।আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়েছিল মুসলমানের দল হিসেবে। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক তখন ‘মূল দাবি’ নামে পুস্তিকা আকারে একটি কর্মসূচি উপস্থাপন করেছিলেন, তা পরে কিছুটা সংশোধন করে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’–এর ঘোষণাপত্র হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। মূল দাবিতে বলা হয়েছিল, ‘...মুসলিম লীগকে সত্যিকার শক্তিশালী মুসলিম লীগ বা মুসলিম জামাত বা মুসলিম জাতীয় প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চে পরিণত করিতে হইলে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমকে ইহার সদস্য শ্রেণিভুক্ত করিতে হইবে...।’‘জনগণের মুসলিম লীগ’ হিসেবেই আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চরিত্র অর্জনের লড়াই চালিয়ে এসেছে। এত বছর পর প্রশ্ন জেগেছে, আওয়ামী লীগ কি পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক হতে পেরেছে, নাকি অবচেতনে সুপ্ত থাকা আদি ঘোষণাপত্রের ধারণা নতুন করে জেগে উঠেছে। আওয়ামী লীগ কি ভোটের জন্য কৌশল পাল্টাচ্ছে, নাকি শিকড়ে ফিরে যাচ্ছে? মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক।mohi2005@gmail.com | 322,654 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ আগস্ট ২০১৫, ০১:৫২ | ২৯ আগস্ট ২০১৫, ০১:৫৩ | ফরিদপুর,ঢাকা বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | পানিতে ডুবে মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/615793 | ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পানিতে ডুবে রনি ফকির নামের (৭) একটি শিশু মারা গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশের মসজিদসংলগ্ন একটি গর্তে জমে থাকা পানিতে ডুবে মারা যায় রনি। রনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের এমকেডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মুরগি ব্যবসায়ী আমির ফকিরের ছেলে। সে এমকেডাঙ্গী আনন্দ স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। শিশুটির বাবা জানান, রনি গর্তের পানিতে পড়ে গেলে অন্যরা এসে বাড়িতে খবর দেয়। পরে গর্তের মধ্য থেকে রনিকে উদ্ধার করে দ্রুত চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফরিদপুর অফিস| | 164,023 |
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৫৬ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৫৭ | পাটগ্রাম,লালমনিরহাট,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | মারধরের শিকার শিক্ষককে মামলা তুলে নিতে হুমকি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1026187 | লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বুড়াবাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (দপ্তরি কাম প্রহরী) আবু সায়েমের হাতে মারধরের শিকার সহকারী শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফা কামালের করা মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। তবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক। সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ অভিযোগ করেন।স্থানীয় ডাকবাংলো মাঠে গতকাল বিকেলে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহত শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফা কামাল।এ ব্যাপারে গতকাল রাতে আবু সায়েমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে অন্য একজন ধরে বলেন, তিনি বাইরে গেছেন। | 267,919 |
কুড়িগ্রাম অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:০৭ | ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:০৯ | কুড়িগ্রাম,দুর্ঘটনা,রংপুর বিভাগ | 0 | মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ বন্ধু নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1369836 | কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিন বন্ধু নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী সড়কের পাথারী মসজিদ নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন সন্তোষপুর ইউনিয়নের নিলুরখামার ব্যাপারী হাটের মৃত খায়রুল শেখের ছেলে আবদুল মোত্তালেব (৩৫), উত্তর ব্যাপারী হাট গ্রামের শামছুল হক ব্যাপারীর ছেলে সুজন ব্যাপারী (৩০) ও পৌরসভার মাছুরখামার গ্রামের ইব্রাহীম আলীর ছেলে সোহেল রানা (৩২)। তাঁরা তিনজন বন্ধু ছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু ব্যাপারী হাট থেকে নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী সড়ক দিয়ে দ্রুতগতিতে রায়গঞ্জে যাচ্ছিলেন। পাথারী মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তাঁরা তিনজনই মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই আবদুল মোত্তালেব মারা যান। এলাকাবাসী গুরুতর আহত অপর দুজনকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে সোহেল রানা মারা যান। অবস্থার অবনতি হলে সুজন ব্যাপারীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁরও মৃত্যু হয়।নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সাইফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। | 345,232 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ৩১ আগস্ট ২০১৫, ১৩:২৬ | ৩১ আগস্ট ২০১৫, ১৩:২৯ | বলিউড | 0 | আলিয়ার প্রেম বিষয়ক তত্ত্ব | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/618163 | ‘বিয়ে’ নিয়ে বিশেষ তত্ত্ব দেওয়ার পর এবার ‘প্রেম’ নিয়ে নতুন এক তত্ত্বের কথা জানিয়েছেন বলিউডের উঠতি নায়িকা আলিয়া ভাট। কোনো ছেলেকে যদি ভালোও লাগে তবু আগবাড়িয়ে তা নাকি প্রকাশ করেন না আলিয়া ভাট। আর, এটাই নাকি তাঁর প্রেম বিষয়ক কৌশল! প্রেমের ক্ষেত্রে সব মেয়েরই এই নীতি মেলে চলা উচিত বলেই মন্তব্যও করেছেন তিনি।ছেলেদের কাছ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ‘প্রথম পদক্ষেপ’ এড়িয়ে যাওয়ার কিছু কৌশলও বাতলে দিয়েছেন আলিয়া। তার মতে, ভদ্রতা আর স্মিত হাসির ভঙ্গিতেই এড়ানো যায় অনেক কিছু। খুব বেশি হাসাহাসি কিংবা খুব কাছাকাছি না আসারও পরামর্শ দেন তিনি।এর আগে, বিয়ের সঠিক বয়স প্রসঙ্গে আলিয়া বলেছিলেন, তাঁর মতে বিয়ের সঠিক বয়স ৩২।শান্দার নামের একটি ছবিতে শহীদ কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করছেন আলিয়া। ছবিটি মুক্তি পাবে এই অক্টোবরে। এ ছবির প্রচার অনুষ্ঠানেই প্রেমের ‘প্রথম পদক্ষেপ’ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন মহেশ ভাটের মেয়ে আলিয়া। তিনি বলেন, ‘শান্দার ছবিতেও ‘প্রেমের প্রথম পদক্ষেপ কে নেবে’ এমন গল্প রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমি কখনোই প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করিনি। এটা মেয়েদের নীতি হওয়া উচিত।’অনুষ্ঠানে আলিয়া আরও বলেন, আমি অবশ্য একটি ক্ষেত্রে শহীদ কাপুরের দিকে আগে এগিয়ে গেছি। সেটা প্রেম নয়, বন্ধুত্ব। (আইএএনএস) | 164,499 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৬ | ২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৭ | সিলেট,মহানগর | 0 | সিলেটে আজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/844051 | সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: বিভাগের পুনর্মিলনী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সকাল ১০টায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে। | 224,762 |
নওগাঁ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ মে ২০১৭, ০২:৩৪ | ২৫ মে ২০১৭, ০২:৩৫ | নওগাঁ,রাজশাহী বিভাগ | 0 | গানে, কবিতায় লাকী আখান্দ্ ও কাজী আরিফকে স্মরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1192476 | প্রয়াত সংগীতশিল্পী লাকী আখান্দ্ ও আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফকে গান ও কবিতায় স্মরণ করেছে একুশে পরিষদ নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা। গতকাল বুধবার কলেজ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা। লাকী আখান্দ্ ও কাজী আরিফের জীবন ও কীর্তি নিয়ে কথা বলেন কলেজের অধ্যক্ষ এস এম জিল্লুর রহমান, শিক্ষক এস এম মোজাফফর হোসেন, একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডি এম আবদুল বারী, সাধারণ সম্পাদক মেহমুদ মোস্তফা রাসেল ও আবৃত্তি পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ময়নুল হক।দ্বিতীয় পর্বে কাজী আরিফ স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন কলেজের শিক্ষক তামিম মাহমুদ সিদ্দিকী ও সাবরিন নাহার এবং ঐকতান কলেজ শাখার সভাপতি মহিবুল্লাহ পলক।আবৃত্তি পর্ব শেষে লাকী আখান্দের গান পরিবেশন করেন সীমাহীন ব্যান্ডদলের শিল্পীরা। তাঁরা গেয়ে শোনান ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’, ‘দেখা হবে বন্ধু’, ‘হঠাৎ করে বাংলাদেশ’, ‘কে বাঁশি বাজায় রে’ প্রভৃতি গান।লাকী আখান্দ্ গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ ২৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। | 319,531 |
ম্যাক্স ফিশার | opinion | মতামত | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১২:২৯ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১২:২৯ | আন্তর্জাতিক | null | ভারত প্রথম আঘাতের নীতি নেবে! | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1130611 | নানা পারিপার্শ্বিক আলামত দেখে মনে হচ্ছে, ভারত হয়তো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের তরিকা বদলাতে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের ভারসাম্য এমনিতেই দুর্বল অবস্থানে। ফলে ভারতের এই সিদ্ধান্তের পরিণতি বেশ গুরুতর হতে পারে। নতুন মূল্যায়ন ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুদ্ধ লেগে গেলে ভারত পাকিস্তানের অস্ত্রভান্ডারে নিবৃত্তিমূলক পারমাণবিক হামলা চালাতে পারে। এতে ভারতের পারমাণবিক নীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তন আসবে। বিদ্যমান নীতি অনুসারে ভারত প্রথম হামলা চালাতে পারে না। কিন্তু সে নীতির ব্যাখ্যা কিছুটা আলগা করে তারা নিবৃত্তিমূলক হামলাকে আত্মরক্ষামূলক হামলা বলতে পারে। এতে যুদ্ধের সময় ভারতের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুও বদলে যাবে।তবে ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের যে মূল্যায়ন বিশ্লেষকেরা করেছেন, তা অবশ্যম্ভাবীরূপে সন্দেহমূলক। পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলো কখনো কখনো কথাবার্তায় অনিশ্চয়তার উপাদান রাখে, যাতে বিরোধীরা কথার ফাঁকের সুবিধা নিতে না পারে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে কথার নমনীয়তাও রক্ষা করা যায়। কিন্তু ব্যাপারটা হলো, ভারত যে কৌশলগত সমন্বয় করছে, তার লক্ষণ একের পর এক পরিষ্কার হচ্ছে।ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বহুদিন ধরেই গরম, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এই খবর পেলাম। কথা হচ্ছে, কখনো যুদ্ধ না হলেও এই অঞ্চলে ভারতের মনোভাবের সুদূরপ্রসারী প্রভাব অনুভূত হবে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুতি জোরদার করার কথা ভাবতে পারে। তখন ভারত আরও জোশ পেয়ে যাবে। পারমাণবিক শক্তির খোঁজখবর রাখেন এমআইটির অধ্যাপক বিপিন নারাং। তিনি বলেছেন, এর পরিণতিতে যা ঘটবে, তা অস্ত্র প্রতিযোগিতার চেয়েও বেশি কিছু। ‘ব্যাপারটা খুবই ভীতিকর, কারণ প্রথম হামলা করার ক্ষেত্রে যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়, তার লক্ষণগুলো বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।’শিবশঙ্কর মেনন ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি স্মৃতিকথায় তিনি যা বলেছেন, তাতে এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ভারতের উচ্চ পর্যায়ে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। মেনন স্মৃতিকথায় বলেছেন, ‘ভারত কখন প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে’, বিশেষ করে, পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেছেন, এমন এক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ‘প্রথম হামলা করাটা ভারতের জন্য সহায়ক হতে পারে’, যারা ঘোষণা দিয়েছে ‘তারা নিশ্চিতভাবেই অস্ত্র ব্যবহার করবে’। খুব সম্ভব তিনি ঠারেঠোরে পাকিস্তানের কথাই বলেছেন। কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস আয়োজিত পারমাণবিক নীতিবিষয়ক সম্মেলনে নারাং মেননের স্মৃতিকথা থেকে এ উদ্ধৃতি দেন। বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও নীতিবিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘যেসব আলামত দেখা যাচ্ছে, তাতে ক্রমশ এটাই বোঝা যাচ্ছে, ভারত পাকিস্তানকে প্রথমে হামলা করতে দেবে না।’তবে শুধু এই কথা থেকে এটা প্রমাণিত হয় না যে ভারতের নীতিগত পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহ থেকে বোঝা যায়, ভারত হয় নীরবে কৌশলগত সুযোগের পরিসর বাড়াচ্ছে অথবা ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে প্রতিপক্ষের রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করছে।পারমাণবিক হামলায় ভারতকে টিকে থাকতে হলে তাকে ব্যাপক প্রতিশোধ নিতে হবে। খুব সম্ভব এর জন্য তাকে প্রতিপক্ষের শহরে হামলা চালাতে হবে। ২০০৩ সালে ভারত যখন এই নীতি প্রণয়ন করে, তখন তা ঠিক ছিল। কারণ, ওই সময় পাকিস্তানের হাতে শহরবিধ্বংসী দূরপাল্লার অস্ত্র ছিল। কিন্তু তারপর পাকিস্তান যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ছোট ছোট ওয়ারহেড বানায়। এগুলো পাকিস্তানের ভারত সমস্যা মোকাবিলার জন্য করা হয়েছিল। তবে ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বড়। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ হলে ভারতের জয় কার্যত নিশ্চিত।ভারত আক্রমণ করলে অগ্রসরমাণ সেনাদের থামাতে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। অন্তত যুদ্ধে হারার আগে তারা সেটা থামাতে চায়। ভারতের নীতিতে যে ফাঁক আছে, এতে সেটা ব্যবহারের চেষ্টা করা যাবে। এটা কল্পনা করা কঠিন যে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে ছোটখাটো হামলা না করে পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক যুদ্ধে লিপ্ত হবে।এতে ভারতের জন্য পাকিস্তান সমস্যা সৃষ্টি করছে। কারণ, তার প্রধান শত্রু পাকিস্তান স্বল্প পরিসরে হলেও পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। তখন থেকেই ভারতের নীতিগত অবস্থান বদলাতে বিতর্ক যে বাড়ছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের পারমাণবিক কমান্ডের সাবেক প্রধান লে. জেনারেল বি এস নাগাল ২০১৪ সালে লিখিত এক নিবন্ধে যুক্তি দিয়েছিলেন, ভারত নিবৃত্তিমূলক পারমাণবিক হামলা করবে কি না, তা নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ রাখা উচিত। সে বছর ভারতীয় জনতা পার্টিও বলেছিল, তারা এ-বিষয়ক নীতি পরিবর্তনের ব্যাপারটা বিবেচনা করবে। কয়েক সপ্তাহ পর তারা ক্ষমতায় আসে।গত বছরের নভেম্বর মাসে তখনকার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর বলেছিলেন, প্রথম হামলার ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা ভারতের হাত–পা বেঁধে দিয়েছে। যদিও তিনি বলেন, এটা শুধুই তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। পরিবর্তন যে আসছে, বিশ্লেষকদের তা সন্দেহ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে, প্রথম দিকে ভারত পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, সেটা তুলে নিতে তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছে। তবে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে ট্রাম্প অতটা কড়া অবস্থানে না থাকায় এটা আর প্রযোজ্য না-ও হতে পারে।এটা সারা পৃথিবীর জন্যই উদ্বেগজনক। ২০০৮ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ভারত-পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র বেশি না থাকলেও পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে পরিবেশ কালো ও গরম ধোঁয়ায় ভরে যাবে। সারা পৃথিবীতে এমনিতেই শস্যের উৎপাদন কমছে। এতে যে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে, তাতে শত কোটি মানুষ মারা পড়বে, ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে।একটা ব্যাপার, পাকিস্তানি নেতারা প্রথাগত যুদ্ধকেও অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করেন। ফলে তাঁরা পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি নিতে আরও আগ্রহ দেখাতে পারেন। আরেকটি ব্যাপার, ভারতে বড় বড় সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে। এতে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। ওদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিতর্কিত ভূমিতে দ্বন্দ্ব-সংঘাত কখনো কখনো উপচে পড়ে। এটাও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করে।নারাং বলেছেন, ‘হয়তো এটা রিগ্যানের জমানার কৌশল।’ অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে রিগ্যানের অস্ত্র প্রতিযোগিতার তুলনা করেছেন তিনি। ‘কিন্তু পাকিস্তানের নিরাপত্তা সমস্যা সোভিয়েত ইউনিয়নের চেয়ে অনেক গুরুতর। যে কারণে খুব দ্রুত অনাকাঙ্ক্ষিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।’ইংরেজি থেকে অনূদিত, নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া।ম্যাক্স ফিশার: ওয়াশিংটনভিত্তিক সাংবাদিক। | 308,869 |
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১২:২৭ | ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫৪ | চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ | 0 | দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধার মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1134801 | চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বসতবাড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত হয়েছেন বৃদ্ধার তিন ছেলে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের বড়বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করেছে।স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, বসতবাড়ি নিয়ে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের বড়বাড়ির মফজল আহমদের (৭৪) পরিবারের সঙ্গে পাশের ঘরের আবু আহমদের (৬০) পরিবারের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষ মামলায়ও জড়ায়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মফজলের ঘরের চাল থেকে আবু আহমদের ঘরের চালে পানি পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এর জের ধরে আজ সকালে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়ালে মফজল আহমদের স্ত্রী ছকিনা খাতুন (৭০) নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন তাঁর তিন পুত্র মো. রফিক (৪০), শাহ আলম (৩৫) ও মাহা আলম (২৭)।আজ সকালে বোয়ালিয়া এলাকায় গেলে আহত মো. রফিকের স্ত্রী তানিয়া তাসরিন বলেন, ‘সকালে আমার দেবর মাহা আলম দোকান থেকে রুটি নিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিতভাবে দা-কিরিচ দিয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমার স্বামী, আরেক দেবর ও শাশুড়ি ঘর থেকে বের হলে তাঁদের ওপরও হামলা চালানো হয়। ওই সময় মাথায় কিরিচের কোপ পড়লে শাশুড়ি মারা যান।’এ ব্যাপারে আবু আহমদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁদের পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।এ ব্যাপারে স্থানীয় বারশত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ প্রথম আলোকে বলেন, বসতবাড়ি নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে জড়ালে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নুরুল আমিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে কিরিচসহ তিনটি রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বৃদ্ধার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। | 309,410 |
সুহাদা আফরিন | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জুলাই ২০১৭, ০৯:০০ | ০৭ জুলাই ২০১৭, ১০:১৪ | -1 | null | শার্ট-প্যান্ট পরতে চান না নার্সরা, রং নিয়েও আপত্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1240771 | নার্সদের কথা মনে হলেই আপদমস্তক শ্বেতশুভ্র পোশাক পরা কারও ছবি ভেসে ওঠে। কিন্তু নার্সদের সাদা পোশাক আর থাকছে না। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর (ডিজিএনএম) নার্সদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম নির্বাচন করেছে। তবে নতুন পোশাকের রং, নকশা ও ধরন নিয়ে নার্সরা সন্তুষ্ট নন। দুবার আদেশ জারির পরেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই নতুন ইউনিফর্ম কেউ পরা শুরু করেননি। ২০১৫ সালের অক্টোবরে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্সদের পোশাকের রং ও ধরনের কয়েকটি বিকল্প দেখাতে স্বাস্থ্যসচিবকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় গত বছরের ২১ নভেম্বর নার্সদের জাতীয় ইউনিফর্ম পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। সেখানে ইউনিফর্মের রং জলপাই ও কালো বলা আছে। নারী সিনিয়র স্টাফ নার্স ও সহকারী নার্সদের জন্য জলপাই রঙের শার্ট, কালো প্যান্ট ও জুতা। মাথার টুপিও জলপাই রঙের। পুরুষদের জন্য জলপাই রঙের শার্ট বা সাফারি, কালো রঙের জুতা ও প্যান্ট। নারী নার্সিং সুপারভাইজার, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ও লেকচারার, সেবা ও উপসেবা তত্ত্বাবধায়কেরা জলপাই রঙের শার্ট বা শাড়ি পরতে পারবেন। তবে জেলা পাবলিক হেলথ নার্স পুরুষ ও নারীদের ইউনিফর্মের রং হালকা বেগুনি। এ ছাড়া ডিপ্লোমা মিডওয়াইফদের জন্য হালকা গোলাপি রং। অনুমোদনের পর এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ডিজিএনএম নতুন পোশাক পরিধানের জন্য আদেশ জারি করে। তবে তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় মে মাসের ৩ তারিখে আবারও আদেশ দেয়। দেশের কিছু কিছু নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নতুন ইউনিফর্ম পরা শুরু করেছেন। তবে কোনো মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালের নার্সরা এখনো শুরু করেননি। একাধিক নার্স বলেন, প্রশাসন তাঁদের মতামত নেয়নি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাজমা খাতুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি পোশাক পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে আলোচনার কথা বললেও আমলারা তা করেননি। আমরা বিরোধিতা করছি না, কালারটা সমস্যা। আর সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে শার্ট-প্যান্ট সবাই পরতে চাইবে না।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের বক্তব্য পৌঁছালে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারবেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার নাজনীন খানম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের অনেকেরই বয়স ৫০-এর ওপরে। শার্ট-প্যান্ট পরে কাজ করতে অস্বস্তি বোধ করবেন। আনসারদের পোশাকের রঙের সঙ্গে আমাদের পোশাকের রং মিলে যায়। মানুষ আলাদা করতে পারবে না। এখন তো সাদা পোশাক দেখে রোগীরা দূর থেকে দৌড়ে আসে।’ তিনি আরও বলেন, নার্সরা সাদা সালোয়ার-কামিজ হলেও পরতে রাজি আছেন। বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) মহাসচিব জালাল উদ্দিন বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ নার্সরা মেনে নিতে চাইছেন না। নার্সদের সাদা রঙের পরিচিত বিশ্বব্যাপী। তিনি আরও বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান শুরু করেছে, সেখানে রঙের ভিন্নতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না বলেও জানালেন। বাংলাদেশ ডিপ্লোমা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএনএ) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন ইউনিফর্ম নিয়ে নার্সদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। দুবার আদেশ জারি হলেও কেউ পরছেন না। সাদা পোশাক একটু নোংরা হলেই বোঝা যায়, ফলে সবারই তাগিদ থাকে ড্রেসটি পরিষ্কার রাখার। কিন্তু অন্য যে রং দেওয়া হয়েছে, তা নোংরা হলেও সহজে বোঝা যাবে না। এখানে পরিচ্ছন্নতার একটা ব্যাপার আছে।’ নার্সদের এই নেতা জানান, ২০১৫ সালে তাঁরা মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পরেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ডিজিএনএমে ইউনিফর্ম বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা পৌঁছানো হয়নি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানেও কেউ নতুন ইউনিফর্ম পরা শুরু করেননি। বিএনএ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আনসারদের সঙ্গে রং মিলে যাওয়ায় মানুষ নার্সদের আলাদা করতে পারবে না। এ ছাড়া নারী নার্সদের মধ্যে পোশাকটি নিয়ে আপত্তি আছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও একই অবস্থা। ডিজিএনএম মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার নতুন ইউনিফর্মের বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, নতুনটাই থাকছে। দুবার আদেশ জারির পরেও কারও পরিধান না করা প্রসঙ্গে বলেন, সময় শেষ হয়নি। তবে বললেন, কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। কিন্তু দ্রুতই কার্যকর হবে। | 324,717 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০৮ জুন ২০১৭, ১২:৩৭ | ০৮ জুন ২০১৭, ১২:৪০ | ক্রিকেট,চ্যাম্পিয়নস ট্রফি | null | ইউনিসের দেশ থেকে উঠে আসা এক ফখর | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1209776 | পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের সময়ই আলাদা করে নজরে পড়লেন ফখর জামান। হাই ব্যাক লিফটের দুর্দান্ত এক বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার মামুলি ২১৯ রানের জবাবে ওপেন করতে নেমেই স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটালেন। কাগিসো রাবাদা, ওয়েইন পার্নেলদের আছড়ে ফেললেন এজবাস্টন মাঠের চারদিকে। খুব বড় স্কোর হয়তো পাননি। তবে ৩০ বলে ৩১ রান করেই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন। বৃষ্টি এসে খেলা পণ্ড করে দেওয়ার আগে ২৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৯ রান তুলে ফেলা পাকিস্তান যে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচটা জিতে গেল, তাতে ফখরের ব্যাটের অবদান কিন্তু বেশ বড়ই।ইউনিস খানের দেশ মারদানে জন্ম নেওয়া ফখর পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফরম করার পুরস্কারটাই পেয়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পেয়ে। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর ওয়ানডে অভিষেক হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলাটা শুরু হয়েছে গত মার্চ-এপ্রিলেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে সেভাবে নজর কাড়তে না পারলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বড় মঞ্চে কিন্তু ঠিকই সবার দৃষ্টি নিজের দিকে ঘুরিয়েছেন।পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফখরের গড় চমকে দেওয়ার মতোই। ২০১২ সালে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষিক্ত হওয়ার পরের বছরই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক। লিস্ট ‘এ’-র ব্যাটিং গড় ৫০.০৪! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেরটাও মন্দ নয়—৪২.০১। দিনের পর দিন পাকিস্তানের ‘পুরস্কারহীন’ ঘরোয়া সার্কিটে সংগ্রাম করেছেন। পরিশ্রমের যে বিকল্প কিছু হয় না—এই আপ্তবাক্য নতুন করে মনে করিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দিয়েছেন। শুরুটা ভালোই হয়েছে, এখন নিজেকে এই জায়গা থেকে কতটা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারেন, দেখার বিষয় সেটিই।সর্বশেষ কায়েদে আজম ট্রফিতে (পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা) তাঁর মোট রান ৬৬৩। গড় ৫১। ফাইনালে ১৭০ রানের একটি ইনিংস খেলার পর তাঁকে আর উপেক্ষা করতে পারেননি নির্বাচকেরা। কিছু দিন আগে ঘরোয়া ওয়ানডে প্রতিযোগিতায় করেছেন তিনটি ফিফটি ও একটি সেঞ্চুরি। ইউনিসের দেশ থেকে উঠে আসা ফখর পাকিস্তানের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যানের শূন্যতা পূরণ করতে পারবেন? প্রতিভা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। এখন গড়ে ওঠার পালা। সেটি হলে পাকিস্তান ইউনিসের যোগ্য উত্তরসূরিকে তো খুঁজে পাবেই, পেয়ে যেতে পারে আরও একজন সাঈদ আনোয়ারকেও। সূত্র: ক্রিকইনফো। | 322,241 |
হাসিনা আকতার | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৩ | ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৩০ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | কেন ভাতের বদলে আলু? | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1064389 | পৃথিবীর মানুষের প্রধান খাদ্য হিসেবে ভুট্টা, গম আর চালের পরই আলুর অবস্থান। বিশ্বের অনেক দেশেই রুটি বা ভাতের বদলে আলু খাওয়ার প্রচলন আছে। তবে আমাদের দেশে আলু এখনো পরিপূরক বা সহায়ক খাবার। ভাতের সঙ্গে আলুর ভর্তা বা তরকারিতে আলু না হলে চলেই না। এই মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ায় বাজারে আলুর দামও অনেক কম। অনেক জায়গায় প্রতি কেজি আলুর বাজারদর ১০ থেকে ১২ টাকা। তাই প্রধান খাবার হিসেবে এই কয়েক মাস ভাতের বদলে আলু বেছে নিলে আপনার খরচ কমবে। তা ছাড়া আলু ভাতের চেয়ে পুষ্টিকর। শর্করার জোগান দেওয়ার পাশাপাশি আলু নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা মেটায়। পাশাপাশি খাদ্য আঁশ থাকায় আলু হজমে সহায়ক এবং রক্তে শর্করার হার ঠিক রাখে। কেন ভাতের বদলে আলু খাবেন, সে প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে দেখে নিন এর পুষ্টিগুণ। ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী আলুতে রয়েছে ৯৭ কিলোক্যালরি, ৭৪ দশমিক ৭ গ্রাম পানি, ২২ দশমিক ৬ গ্রাম শর্করা, ১ দশমিক ৬ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম স্নেহ, শূন্য দশমিক ৪ গ্রাম আঁশ, ১১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, শূন্য দশমিক ৭ মিলিগ্রাম লোহা, ১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি ও শূন্য দশমিক শূন্য ৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১। এ ছাড়া আলুর খোসায় আছে ভিটামিন-এ, পটাশিয়াম, লোহা, ভিটামিন-সি ও খাদ্য আঁশ। ভিটামিন-সি থাকায় শর্করার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আলু শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কারণ আলুতে থাকা ভিটামিন-সি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া আলুতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আমাইনো অ্যাসিড, ওমেগা-থ্রিসহ নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের জন্যও ভালো। পাশাপাশি হৃদ্রোগ মোকাবিলায় সহায়তা করে ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।একনজরে আলুর উপকারিতাগুলো দেখে নেওয়া যাক—রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: আলু রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।হজমে সহায়ক: হজমের পক্ষে আলু খুব ভালো। কারণ এতে প্রচুর খাদ্য অাঁশ রয়েছে।ত্বক ভালো রাখে: আলুর রস ত্বকে লাগালে বিভিন্ন দাগ দূর হয়। আলুতে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ফসফরাস ইত্যাদি রয়েছে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ ছাড়া রোদে পোড়া ভাবও দূর করতে সহায়তা করে আলুর রস।রোগ প্রতিরোধ করে: একটি মধ্যম আকৃতির (১৫০ গ্রাম) আলুর খোসায় প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি আছে। এর ফলে খোসাসহ আলু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।মানসিক চাপ কমায়: আলুতে ভিটামিন বি-৬ রয়েছে, যা মন ভালো রাখার জন্য কার্যকর দুটি উপাদান সেরেটোনিন ও ডোপামিন বাড়ায়। এর ফলে মানসিক চাপ কমে।মস্তিষ্ক কর্মক্ষম রাখে: আলুতে গ্লুকোজ, অক্সিজেন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ও অন্যান্য ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখে। সতর্কতা: অতিরিক্ত আলু খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাঁরা দিনে ৯০ গ্রাম পর্যন্ত আলু খেতে পারবেন। এর বেশি নয়। লেখক, প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তাচট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল | 285,884 |
আমার চট্টগ্রাম প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৪৩ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৪৫ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | নবীনের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/782905 | ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটা। নবীন সংগীত শিল্পী শমী সুহৃদ দরাজ গলায় গাইছিলেন ‘আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ’। তাঁর সুর মূর্ছনা মুগ্ধতার আবেশ ছড়াল ফুলকির এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে। সুহৃদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এই ফুলকিতেই। এরপর যোগ দিয়েছেন এখানকারই সংগীত দল রক্তকরবীতে। মাঝে উচ্চ শিক্ষার জন্য গেছেন দেশের বাইরে। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আবার গানের কাছে, শৈশবের বিদ্যাপীঠের কাছেই যেন ফিরে আসা। আয়োজনটি ছিল রক্তকরবীর নবীন শিল্পীদের নিয়ে। তাঁদের কণ্ঠসুধা দর্শকদের গভীর নিমজ্জনের আনন্দ দিয়েছে। বাড়তি পাওয়া ছিল আবৃত্তি শিল্পী উদয় শংকর দাশ ও রুবিনা আক্তারের আবৃত্তি। শুরুতেই ছিল আবৃত্তিশিল্পী উদয় শংকর দাশের পরিবেশনা। তিনি আবৃত্তি করে শোনান ‘হঠাৎ দেখা’, ‘আফ্রিকা’ ও ‘কৃষ্ণকলি’। রবীন্দ্রনাথের এই তিন পাঠকপ্রিয় কবিতা বারংবার পঠনে ও শ্রবণে নতুন হয়ে ওঠে। উদয় শংকরের আবৃত্তি দর্শককে আবারও সেই উপলব্ধি এনে দিল। উদয়ের পর গান শুরু করেন শমী সুহৃদ। ‘আমার এই পথ চাওয়াতে আনন্দ’ এই গান দিয়ে শুরু করে একে একে গাইলেন ‘তিমির অবগুণ্ঠন’, ‘প্রথম আদি তব’ ‘শান্তি কর বরিষন’সহ বেশ কয়েকটি গান। নবীন এই শিল্পী অনেক দূর যাবেন, গানে গানে যেন এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন শ্রোতাদের। এর পর গাইলেন আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পী শান্তা গুহ। ‘সার্থক জনম আমার’, ‘পুরোনো জানিয়া চেও না’, ‘হারমানা হার’, ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’ ও ‘যেতে যেতে চাই না যেতে’ শিরোনামের গানগুলো শুনিয়ে তিনিও মুগ্ধ করলেন দর্শককে।পেশাদার আবৃত্তিশিল্পী বলতে যা বোঝায় রুবিনা আক্তার তা নন। পেশায় শিক্ষিকা রুবিনা কবিতা পড়েন মনের আনন্দে, ভালোবেসে। তবে মঞ্চে উঠে ঠিকই দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করলেন তিনি। ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ ও ‘প্রশ্ন’ কবিতা শুনিয়ে আবেগে ভাসালেন সবাইকে। অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জিনাত ইসলামের বৈঠকি উপস্থাপনা। | 205,905 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:০৫ | ১০ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:৩২ | রাজনীতি | null | এবার ভেঙে গেল জাগপা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/997795 | বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ভেঙে গেছে। দলটির একাংশের নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানকে ‘অব্যাহতি’ দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন। এই অংশের নেতারা বলছেন, তাঁরা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে থাকবেন না।আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, গতকাল রোববার দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শফিউল আলম প্রধানের কমিটির সহসভাপতি এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদকে সভাপতি ও মো. মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে। তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক বেশ কয়েকটি দল ভেঙে গেছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন এনপিপির শওকত হোসেন নীলু। পরে দল ভেঙে একাংশ বিএনপি জোটে থেকে যায়। আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের ক্ষেত্রেও ঘটেছে একই ঘটনা। এ ছাড়া এনডিপি, সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিও (ভাসানী-ন্যাপ) ভেঙে গেছে। ভাঙা দলগুলোর একাংশ বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থাকায় সংখ্যাগত দিক থেকে বিএনপি-জোট এখনো ২০-দলীয় জোট নামেই আছে।জাগপার একাংশের নতুন কমিটি ঘোষণাকারীদের দাবি, দলে একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা, মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামিদের মুক্তির দাবি এবং নির্বাচনী রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিপরীতে অবস্থান নেওয়ায় শফিউল আলমকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে দলের ৬০ শতাংশ নেতা-কর্মী আছেন।জানতে চাইলে শফিউল আলম প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি ‘প্র্যাকটিক্যালি’ কিছু জানেন না। তবে তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর সন্তানতুল্য। তাঁরা এমন কাজ করতে পারেন না। কেউ যদি বন্দুকের নলের মুখে এ ধরনের কাজ করে থাকেন, তা ভিন্ন কথা। | 254,749 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৪ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৫ | ১৪ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৫০ | ভারত | 0 | মুম্বাইয়ের ‘মোদি’ | http://www.prothom-alo.com/international/article/192442 | মুম্বাই শহরতলির মালাদ এলাকার ব্যবসায়ী তিনি। খুব ভালো করে খেয়াল না করলে মনে হবে, তিনিই নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মনোনীত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সঙ্গে তাঁর চেহারা ও সার্বিক অবয়বের বিস্ময়কর মিল রয়েছে। নাম তাঁর বিকাশ মহান্তে।বিজেপির নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে বিকাশের উপস্থিতি থাকতেই হবে। দলীয় নেতা-কর্মীরা চান, ‘স্থানীয় মোদি’ সঙ্গে থাকুন সব সময়।৫২ বছর বয়সী বিকাশ বলেন, গত ডিসেম্বরে আসল মোদি মুম্বাই সফরে এসেছিলেন। তাঁকে একনজর দেখতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল ‘নকল মোদিকে’। তাঁকে ঘিরে ধরেছিলেন মোদির অনুরাগী-সমর্থকেরা। পিটিআই। | 65,894 |
আমিরুল আলম খান | opinion | মতামত | ৩১ মার্চ ২০১৮, ১২:৫৪ | ৩১ মার্চ ২০১৮, ১৩:০৪ | শিক্ষা | null | উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা: চড়ছে উৎকণ্ঠার পারদ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1460731 | আর এক দিন পরেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার ১৩ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। তাই এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সহযোগী অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঘুম হারাম। কারণ, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার সব বিষয়ের প্রশ্নপত্র আগাম ঘোষণা দিয়ে ফাঁস করেছে দুর্বৃত্তরা, নতুবা ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল, তারা পরীক্ষার কেলেঙ্কারি কীভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। পরীক্ষা বাতিল হবে, নাকি বহাল থাকবে, সে সিদ্ধান্তও তারা নিতে পারেনি আজও। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক, আখেরে ক্ষতি হবে অপাপবিদ্ধ কিশোর পরীক্ষার্থীদের। দোষ বা ব্যর্থতা সরকারের, কিন্তু শাস্তি পাবে নির্দোষ ২২ লাখ পরীক্ষার্থী, এমন অবিচার কোনো কালে কোনো দেশে হয়েছে বলে মনে হয় না। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতি উৎসাহী কিছু আমলার স্বেচ্ছাচারিতার জন্যই এই দুর্যোগ, দুর্ভোগ। কিন্তু তাদের কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনার কোনো লক্ষণই দৃশ্যমান নয়। বরং তাদের রক্ষায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ, আয়োজনে সমগ্র জাতি একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। নিদেনপক্ষে একই প্রশ্নপত্রে সবার পরীক্ষা নেওয়ার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে যেসব কর্মকর্তা জাতির এত বড় ক্ষতি করল, চক্ষুলজ্জার খাতিরে হলেও তাদের বদলি করা উচিত ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কোনো কোনো কর্মকর্তার শিকড় হাফ দশক পেরিয়ে এমন করে গেড়ে বসেছে, যে তাদের চাকরিজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে নড়নচড়ন হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এদিকে নিরপরাধ প্রায় দেড় শ পরীক্ষার্থী কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে মাথা কুটে মরছে; যদিও দেশে প্রচলিত আইনে ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশুর বিরুদ্ধে এমন নির্দয় ব্যবস্থা শিশু অধিকারপরিপন্থী। এত বড় ভুল সিদ্ধান্ত যাঁরা নিতে পারেন, তাঁরা শুধু বহাল তবিয়তেই আছেন তা নয়, বরং তাঁদের গলার জোর আরও বেড়েছে। উচ্চমাধ্যমিকেও নাকি অভিন্ন প্রশ্নতত্ত্ব বহাল থাকবে, যদিও একাধিক সেট প্রশ্ন ছাপা হয়েছে।বাংলাদেশে অতিকথন মন্ত্রী-আমলাদের সবচেয়ে প্রিয় কাজ। দুনিয়ার কোনো দেশে আমলারা মিডিয়ায় মুখ খুলতে পারেন না। আমাদের দেশে আমলারা মিডিয়া গুলজার করে রাখেন। আর রাজনীতিকেরা কখন কী বলেন, কী তার অর্থ, তা আমজনতার বোধের বাইরে।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ ও সার্টিফিকেশনের দায়িত্ব শিক্ষা বোর্ডের। ১৯৬১ সালের অরডিন্যান্সে তা-ই বলা আছে (মনে রাখতে হবে, সেখানে জুনিয়র সার্টিফিকেট বা জেএসসি পরীক্ষা গ্রহণের কোনো কথা বলা নেই। এই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বেআইনি)। গণতান্ত্রিক সরকার সে অধিকার বোর্ডের কাছ থেকে কোনো আইন বলে ছিনিয়ে নিলেন, তা জাতি জানতে পারেনি। এখন কোনো বোর্ডে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কত, পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা কত, তা সাংবাদিক ডেকে বলার মালিক বনেছেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী! মন্ত্রণালয় নিজের কাজ না করে শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দায়িত্ব কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু সারা দুনিয়ায় মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো, নীতিনির্ধারণ ও তদারকি করে যার কাজ তাকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া। আমাদের দেশ চলে অদ্ভুত উটের পিঠে সওয়ার হয়ে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করেছেন, যার কাজ তাকেই করতে দেওয়া উচিত।জাতি শুনে কতটুকু আশ্বস্ত বোধ করছে তা জানি না। স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক ডেকে এলান করে দিলেন, এবার কয় সেট প্রশ্ন ছাপা হয়েছে, কীভাবে কোথায় প্রশ্ন পাঠানো হবে, পরীক্ষার কত মিনিট আগে কেমন লটারি করে কোন সেটে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তার বিস্তারিত ফিরিস্তি! প্রথমত, এসব কথা বলার কাজ মন্ত্রীর নয়; দ্বিতীয়ত, কর্মপদ্ধতির গোপনীয়তা রক্ষা করতে মন্ত্রী শপথবদ্ধ। তিনি যত কম কথা বলবেন, ততই মঙ্গল। তবে তিনি সবচেয়ে জব্বর খবরটা জানিয়ে দেশবাসীকে ধন্য করেছেন। তিনি জানালেন, কোচিং সেন্টার বেআইনি; কিন্তু তা বন্ধ করার তাকত তাঁর নেই। ওদিকে তাঁর ঘোষণা শেষ না হতেই কোচিং ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পক্ষে এক টিভি চ্যানেলে হুংকার দিয়ে বলা হলো, কোচিং সেন্টার সম্পূর্ণ আইনি এবং তাঁরা সিটি করপোরেশন থেকে ’কোচিং ব্যবসা’র নামেই লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আর ব্যান্ডেন্ড কোচিং সেন্টারগুলো নাকি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত। সরকার তাদের কাছ থেকে নিয়মিত ট্যাক্স, ভ্যাট আদায় করে। যদি কোচিং ব্যবসা বেআইনি হবে, তাহলে সরকার তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স, ভ্যাট আদায় করে কোনো আইনে? বোঝা যাচ্ছে, শাসকগোষ্ঠীর কথায় এবং কাজে কোনো মিল নেই, বরং সেখানে বহুত ফারাক। কোচিং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের দহরম-মহরম কোনো পর্যায়ের, তা কিছুটা এবার জানা গেল বটে।পরীক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাফল্য প্রায় শূন্য। বরং গোয়েন্দা পুলিশ ও দুদকের অনুসন্ধানকে অধিক বাস্তবোচিত বলে গণ্য করা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যখন মন্ত্রী জানাচ্ছিলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে তিনি কতটুকু সমর্থ হবেন, তা একমাত্র খোদা জানেন, তখন সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলছিলেন, দেশ ডিজিটাল হলেও যেখানে প্রশ্নপত্র ছাপা হয়, সেই বিজি প্রেস অ্যানালগ। তিনি বিজি প্রেস সরেজমিনে দেখে বুঝেছেন, সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির লেশমাত্র নেই এবং বিজি প্রেস এখন আর গোপনীয় কাজ করার জন্য আদৌ উপযুক্ত নয়। আমরা এই পুলিশ কর্মকর্তার মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিতে সরকারকে অনুরোধ করব।এদিকে মন্ত্রীর একই কথা, প্রশ্নফাঁসের আসল ও একমাত্র ক্রিমিনাল নাকি শিক্ষকেরা। কিন্তু গোয়েন্দারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের অনুসন্ধানে অপরাধীর তালিকায় কিছু শিক্ষক থাকলেও সরকারের কিছু অসাধু কর্মকর্তা যে নেই, তাও হলফ করে বলা যাবে না। আরও অনেক স্বার্থবাদী গোষ্ঠী এতে জড়িয়ে গেছে, যারা দেশের অভ্যন্তর ভাগের মতোই দেশের বাইরেও তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে থাকতে পারে, যারা সাইবার ক্রাইমে অনেক বেশি পারদর্শী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘ্যানর ঘ্যানর থেকে গোয়েন্দাদের দৃষ্টি সমস্যার অনেক গভীরে প্রসারিত বলেই নাগরিকদের বিশ্বাস।শিক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের হুংকার গর্জনে কোনো ঘাটতি আছে—এমন নিন্দা কোনো দুর্মুখও বোধ হয় করবে না। কিন্তু কোনো প্রচেষ্টাই কেন হালে পানি পাচ্ছে না, সেটা গবেষণার বিষয় বটে। তা নিয়ে শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই নয়, সরকারের সব যন্ত্র সক্রিয় বলেই মনে হচ্ছে। তবে এটাও লক্ষণীয়, আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের অভাব আছে প্রচুর, যার ফাঁক দিয়ে দুর্বৃত্তরা বেরিয়ে যাচ্ছে আর মার খাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ ও তাদের সন্তানেরা।আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সর্বপ্রাজ্ঞ আর সর্বকাজে দক্ষ লোকবলে টইটম্বুর। তাই তাঁরা যত কাজ করেন, ঢোল বাজান তার চেয়ে ঢের বেশি। সেখানকার মহাপ্রাজ্ঞরা অহর্নিশ জাতিকে নসিহত করেই চলেছেন এবার পরীক্ষায় তারা কী কী জাদুর খেল দেখাবেন। কিন্তু আমজনতার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছেই। মাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও প্রহসনে পরিণত হবে না তো? যদি তা হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১৩ লাখ তরুণ, যারা আমাদের সোনালি ভবিষ্যৎ রচনার আসল কারিগর হওয়ার কথা।মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরীক্ষাব্যবস্থায় তাদের নতুন চমক হলো পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণি শেষে যথাক্রমে প্রাথমিক সমাপনী ও জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা চালু করা। যাঁরা এই দুটি পরীক্ষার পাহাড় আমাদের কোমলমতী শিশুদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন, তাঁরা এর কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি দেখাতে পারেননি, যদিও অনেক মানুষ এই দুই পরীক্ষার বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাতে অবশ্য কর্তাদের জেদ আরও বেড়েছে। আর শিশুদের কাঁধ থেকে পরীক্ষা-দানবও নামেনি।ষোলো কোটি মানুষের বাস যে দেশে, সেখানে একটি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ মহাযজ্ঞই বটে। তবে সেটি আরও কঠিন হয়ে ওঠে, যখন শাসকগোষ্ঠীর ন্যূনতম সততাও নির্বাসিত হয়, সুশাসন বনবাসে যায়।আমিরুল আলম খান: যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান। amirulkhan7@gmail.com | 359,565 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৪, ০১:১৪ | ১৪ অক্টোবর ২০১৪, ০১:১৬ | -1 | 0 | এ কিউ এম রফিকুর রহমান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/342826 | বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক এ কিউ এম রফিকুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ অক্টোবর। এ উপলক্ষে আজ রাজধানীর পান্থপথে তাঁর বাসভবনে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছে তাঁর পরিবার। বিজ্ঞপ্তি। | 100,475 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২০ আগস্ট ২০১৭, ০১:১৬ | ২০ আগস্ট ২০১৭, ০১:১৮ | -1 | 0 | স্থাপনাশিল্পে ২১ আগস্টের বিভীষিকা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1295431 | ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে ১০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে স্থাপনাশিল্প। শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরী ও একদল তরুণ শিল্পীর অংশগ্রহণে একাডেমি প্রাঙ্গণে কাল সোমবার আয়োজিত হচ্ছে ‘বিহাইন্ড দ্য গ্রেনেড’ শীর্ষক এ প্রদর্শনী। ওই দিন বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চের পাশের উন্মুক্ত সড়কের ১০ হাজার বর্গফুট জায়গায় প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তিনি গতকাল শনিবার শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ এ প্রদর্শনীর ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য জানান কিউরেটর অভিজিৎ চৌধুরী। এ সময় আরও বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী ও চারুকলা বিভাগের পরিচালক মনিরুজ্জামান।শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, সাতটি ভাগে ভাগ করে এ স্থাপনাশিল্পের মাধ্যমে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরা হবে। শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে মানবপ্রাচীর, রক্তের স্রোতোধারা, পদচিহ্ন-প্রতিবাদ, আইভি রহমান, জজ মিয়া নাটক, আলামত উপস্থাপন ও বিভিন্ন হাসপাতালে নিহত আর আহত ব্যক্তিদের আহাজারির পাশাপাশি বিহাইন্ড দ্য গ্রেনেড নামের একটি ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সেদিনের বীভত্সতা তুলে ধরা হবে। সব মিলিয়ে ১৯ জন শিল্পী এর পেছনে কাজ করছেন। | 333,957 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৬ | ৩০ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৫ | রাজনীতি | null | রোববার বিক্ষোভ করবে বিএনপি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1377136 | দুর্নীতির এক মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রিজভী এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে সরকারের নীলনকশার অংশ বলে মনে করছেন।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আদেশ দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। আদালতে হাজির না হওয়ায় যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাবিব–উন–নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বিএনপি ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল শনিবার, যুবদল শুক্রবার ও ছাত্রদল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। | 346,394 |
এ বি এম আবদুল্লাহ | life-style | জীবনযাপন | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৩ | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০৩ | অধুনা,আমার ডাক্তার | 0 | শীতে কাবু নয় | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/117802 | শীতের ভোরে ঘুম থেকে উঠলেই দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন। সবুজ ঘাসে জমে আছে বিন্দু বিন্দু শিশির। এই সময়টা প্রকৃতি উপভোগ্য হলেও দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই প্রয়োজন কিছুটা বাড়তি সতর্কতা।শীতে প্রধানত বাড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। যদিও এসব রোগের প্রধান কারণ ভাইরাস, তবু তাপমাত্রার সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেসব এনজাইম আছে, তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রায় কম কার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। শীতে বাতাসের তাপমাত্রা কমার সঙ্গে আর্দ্রতাও কমে যায়, যা শ্বাসনালির স্বাভাবিক কর্ম প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে ভাইরাসের আক্রমণ সহজ করে। শুষ্ক আবহাওয়া বাতাসে ভাইরাস ছড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস হাঁপানি রোগীর শ্বাসনালিকে সরু করে দেয়, ফলে হাঁপানির টান বাড়ে।শীতে সাধারণ ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশি সবারই হয়ে থাকে। এ রোগের শুরুতে গলা ব্যথা করে, গলায় খুশখুশ ভাব ও শুকনা কাশি দেখা দেয়, নাক বন্ধ হয়ে যায়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে এবং ঘন ঘন হাঁচি আসে। হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। এটা মূলত শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশের রোগ। এই রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাশি কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।শীতে ইনফ্লুয়েঞ্জাও বেশি মাত্রায় দেখা যায়। এই রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত। ঠান্ডার অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও এ রোগের ক্ষেত্রে জ্বর ও কাশিটা খুব বেশি হয় এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। শীতের প্রকোপে শুধু ফুসফুস নয়, সাইনাস, কান ও টনসিলের প্রদাহও বাড়ে, যেমন ঘন ঘন সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, অটাইটিস ইত্যাদি। নিউমোনিয়াও এ সময় প্রচুর দেখা যায়। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়ে নবজাতক, শিশু, বৃদ্ধ, হাঁপানি রোগী ও ধূমপায়ীদের।কাশির মতো প্রকট না হলেও শীতে আরও অনেক রোগেরই প্রকোপ বেড়ে যায়। যেমন:: আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা শীতে বাড়তে পারে। মূলত বয়স্কদেরই এ সমস্যা হয়। যারা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিও আর্থোসিস রোগে ভোগেন, তাঁদের বেলায় এ সমস্যাটা আরও প্রকট হয়ে পড়ে।: শীতের শুষ্কতায় অনেকের ত্বক আরও শুষ্ক হয়, ফেটে যায় এবং চর্মরোগ দেখা দেয়। তাই শীতকালে ত্বকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। শুষ্কতা কমানোর জন্য ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন, ভালো কোনো তেল বা ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।: অনেক সময় কড়া রোদও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বাইরে গেলে সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো হয়। অনেকক্ষণ কড়া রোদ না পোহানোই ভালো।: কিছু কিছু রোগে তীব্র শীতে অনেকের হাতের আঙুল নীল হয়ে যায়। তাঁরা অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। যেন কোনোভাবেই ঠান্ডা না লাগে।: শীত তীব্র হলে হূদ্যন্ত্রের রক্তনালি সংকুচিত হয়ে হূেরাগে আক্রান্ত হতে পারে।: শীতের আরেকটি মারাত্মক সমস্যা হাইপোথার্মিয়া, অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া, যা মৃত্যুও ঘটাতে পারে।প্রতিরোধে করণীয়: ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়া একেবারে বাদ দিতে হবে।: কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত।: প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পরা। তীব্র শীতের সময় কান ঢাকা টুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা।: ধুলাবালি এড়িয়ে চলা।: ধূমপান পরিহার করা।: ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।: হাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।: যাঁদের অনেক দিনের শ্বাসজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত।: তাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।: হাত ধোয়ার অভ্যাস করা। বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পর পর হাত ধোয়া।সব সময়ই যে শীতে রোগব্যাধি বাড়বে তাও সত্য নয়। সাধারণভাবে শীতকালে মানুষের রোগ কম হয়। তাই বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।লেখক: ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় | 42,037 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:৩৩ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:৩৪ | অপরাধ | 0 | তিতুমীরে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ৫ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/780385 | রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলেজে আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।আহত শিক্ষার্থীরা হলেন ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র গোলাম কিবরিয়া (২২), ইতিহাস দ্বিতীয় বর্ষের আবদুল মোতালেব (২১), বাংলা তৃতীয় বর্ষের শাহ আলম (২১), বাংলা দ্বিতীয় বর্ষের মো. আসিফ (২০) ও মার্কেটিং দ্বিতীয় বর্ষের মো. আয়নাল (২০)। চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেছেন। তবে কলেজ ছাত্রলীগ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।আহত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজে বর্ধিত বেতন ও ফি আদায় বন্ধের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন তাঁরা। তবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এর বিরোধিতা করছেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাসে ঢুকে আন্দোলনকারী ছাত্রদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম, বহিষ্কৃত নেতা মানিক, অপু, সানি, দিদারসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষের দরজা আটকিয়ে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটান। পরে সহপাঠীরা উদ্ধার করে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, আহত ছাত্রদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন। ছাত্রাবাসে বিভিন্ন অঞ্চল-ভিত্তিক ছাত্রদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। এ জন্য হয়তো কিছু ঘটে থাকতে পারে।কলেজের অধ্যক্ষ আবু হায়দার আহমেদ নাসেরও হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে কলেজের ছাত্রাবাস থেকে পুলিশের এক অভিযানে রেজাউল করিম (২২) ও সাইদুল ইসলামকে (২৩) আটক করা হয়। এ সময় ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি চাপাতি, রড ও খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আটক দুজনই ছিলেন বহিরাগত। | 204,870 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:১৪ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:১৪ | বিনোদন,বাংলা গান | null | এক গানেই এক বছর! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/463510 | আজকাল চলচ্চিত্রের শুটিংয়েও যেখানে এতটা সময় লাগে না, সেখানে পড়শীর একটি গানের মিউজিক ভিডিও তৈরিতেই লেগে গেল প্রায় এক বছর! গত বছর মার্চে মুক্তি পেয়েছিল পড়শীর ‘জয় হবেই হবে’ শিরোনামের একটি গান। তারপর পয়লা বৈশাখে শুরু হয় এর মিউজিক ভিডিও তৈরির কাজ। বলা যায়, বছর খানেক ধরে চলে এর দৃশ্য ধারণ।এক গানেই এক বছর সময় কেন লাগল? এমন প্রশ্নের জবাবে পড়শী বলেন, ‘আমরা গানটিতে বাংলাদেশের নানা ধরনের উত্সব ও ঐতিহ্যের চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি। এ জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে শুটিং করা হয়েছে। যেমন গানটিতে নৌকাবাইচের দৃশ্য আছে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের বৈশাখের পর বর্ষাকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।’ভিডিওতে আছে পড়শীর উচ্চাঙ্গ নৃত্য। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি নাচ শিখতাম। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় পর্যন্ত নাচে নিয়মিত ছিলাম। ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতায় আসার পর নাচ ছেড়ে দিতে হয়েছিল। কিন্তু নাচের ইচ্ছাটা সব সময়ই ছিল।’‘জয় হবেই হবে’ গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন আর সুর ইমরানের। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন চন্দন চৌধুরী। পড়শী জানান, বছরের বিভিন্ন সময়ে মিউজিক ভিডিওটির শুটিং হয়েছে ঢাকা, বান্দরবান, খুলনা, গাজীপুর, সিলেট ও কক্সবাজারে। খুব শিগগির এই মিউজিক ভিডিওর প্রচার শুরু হবে। | 119,172 |
বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ মার্চ ২০১৭, ০১:০৩ | ৩০ মার্চ ২০১৭, ০১:০৩ | বাঘাইছড়ি,রাঙামাটি,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1126271 | রাঙামাটির বরকল উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার রাতে মামলা হয়েছে।মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাড়িতে থাকতেন। ওই বাড়ির মালিক কিছুদিনের জন্য এলাকার বাইরে যাওয়ার কারণে পাশের এক ব্যক্তির বাড়িতে ওই শিক্ষকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই ব্যক্তির অনুপস্থিতির সুযোগে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। পরে গৃহবধূর চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে ওই শিক্ষককে ধরে ফেলেন। পরদিন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলতাব হোসেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই শিক্ষককে ছাড়িয়ে নেন। মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলতাব হোসেন বলেন, ওই শিক্ষককে স্থানীয় লোকজন আটকে রেখেছেন শুনে তিনি পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে ওই শিক্ষক ছুটি নেন। তিনি বলেন, তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফজল আহমেদ খান বলেন, ওই শিক্ষক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। | 308,098 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৭ আগস্ট ২০১৩, ২০:২৮ | ১৭ আগস্ট ২০১৩, ২০:৩৩ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | ডিফেন্ডার চাই না মার্টিনোর! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/39952 | আক্রমণে মেসি-নেইমার জুটি। সন্দেহ নেই, বিশ্বের সেরা আক্রমণভাগ বার্সার। মাঝমাঠে জাভি-ইনিয়েস্তা। বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডও বার্সার। সমস্যা এক জায়গাতেই—রক্ষণ। বার্সার রক্ষণ যে বেহুলার বাসরঘরের মতো। ধারণা করা হচ্ছিল, নতুন কোচ এসে রক্ষণের ফাঁকফোকরগুলো হয়তো বন্ধ করবেন। কিন্তু জেরার্ডো মার্টিনো বলছেন, এই দলবদলের বাজারে আর ডিফেন্ডারই কিনবেন না। জানুয়ারির দলবদলের সময় ভেবে দেখবেন সেন্টার ডিফেন্ডারের দরকার কাছে কি না!বার্সার রক্ষণের সমস্যাটা বেশ কিছুদিন থেকেই ভোগাচ্ছে দলকে। গত মৌসুমে কার্লোস পুয়োল ও জেরার্ড পিকের চোট বার্সাকে ভীষণ ঝামেলাতেই ফেলে দিয়েছিল। হাভিয়ের মাসচেরানো ডিফেনসিভ মিডফিল্ড ছেড়ে বার্সায় তো পুরোদস্তুর রক্ষণভাগই সামলাচ্ছেন। কিন্তু গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার ব্যর্থতার কারণই ছিল এই রক্ষণ। বার্সা তাই এবার রক্ষণটাকে শক্তিশালী করতে অনেক দিন পিছু ঘুরেছে থিয়াগো সিলভার। ডেভিড লুইজকেও চাইছিল তারা। ভাবা হচ্ছিল ড্যানিয়েল অ্যাগারের কথাও।কিন্তু এই তিনজনকেই শেষ পর্যন্ত বার্সা পায়নি। আর এ কারণেই হয়তো বিরক্ত হয়ে মার্টিনো রণেভঙ্গ দিয়েছেন। আপাতত যা আছে, তা-ই দিয়েই কাজ চালিয়ে দেখতে চান এই আর্জেন্টাইন। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে মার্টিনো বলেছেন, ‘আমি আসার আগে, এমনকি টিটো থাকার সময়ও ক্লাবের কী পরিকল্পনা ছিল, সেটা আমি জানি। আমি যেটা বলতে চাই, পুয়োল যতক্ষণ ঠিক আছে, সেটা সে হচ্ছে, দ্রুত সেরে উঠছে; জেরার্ড পিকে, হাভিয়ের মাসচেরানো, মার্ক বার্তা, আদ্রিয়ানো অথবা সার্জিও বুসকেটসকে আমরা যতক্ষণ সেন্টার-ব্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারব, ততক্ষণ আমাদের সমস্যা নেই। আর যদি ইনজুরি সমস্যা দেখা দেয়, শীতকালীন দলবদল তো আছেই।’পুয়োলকে ছাড়াই অবশ্য কাল মাঠে নামতে হচ্ছে বার্সাকে। না-ও থাকতে পারেন লিওনেল মেসি। নিজেদের মাঠে লেভান্তের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে লিগ অভিযান শুরু করবে বার্সা। সূত্র: রয়টার্স। | 9,758 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০০:১৯ | ২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০০:২০ | বিনোদন,চলচ্চিত্র | 0 | তারেক মাসুদ স্মরণে ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/59668 | প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের জন্মদিন ৬ ডিসেম্বর। এবার দিনটি উপলক্ষে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। ‘আমার শেকড়ের সন্ধানে’ শিরোনামে এই প্রতিযোগিতায় ১৬-২৫ বছর বয়সী যে কেউ অংশ নিতে পারবেন। প্রতিযোগীকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত আবেদনপত্র পূরণ করে চলচ্চিত্র জমা দিতে হবে।৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে ‘তারেক মাসুদ চলচ্চিত্র উৎসব’। এই উৎসবে প্রতিযোগিতার সেরা ১০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এ ছাড়া সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতাকে দেওয়া হবে ‘তারেক মাসুদ তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা পুরস্কার ২০১৩’। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.tarequemasud.org/contest ওয়েবসাইটে অথবা ০১৯২২৮২০০৩০ নম্বরে। বিজ্ঞপ্তি। | 23,784 |
আদনান মোর্শেদ | opinion | মতামত | ৩০ আগস্ট ২০১৫, ০০:১৩ | ৩০ আগস্ট ২০১৫, ০০:৪৬ | মতামত,আদনান মোর্শেদ,লেখকের কলাম | null | মূল সমস্যা কোথায়? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/616363 | আমার বিভিন্ন দেশের সহকর্মীরা, যাঁরা বাংলাদেশে এসেছেন, সবারই আলোচনার বিষয় এক—ঢাকার যানজট। এঁদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা, যানজটের সমস্যা আসলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নগর প্রশাসনের সামগ্রিক দুর্বলতার প্রতীক। ঢাকাবাসীর সঙ্গে যানজট নিয়ে কথা উঠলেই দুই ধরনের পরাজিত মানসিকতা দেখা যায়। এটার কোনো সমাধান অদূর ভবিষ্যতে নেই আর এভাবেই চলবে, এর মাঝেই বেঁচে থাকতে হবে। শত হতাশার মধ্যেও সরকারি আর বেসরকারি বিশেষজ্ঞরা তাঁদের সমাধান দিয়ে চলেছেন। এর মাঝে নগর উন্নয়ন তত্পরতা থেমে নেই। অনেক ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে আর ভূমি-ঊর্ধ্ব দ্রুতগতির রাস্তার পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু যানজটের সমস্যা প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। আসল কথায় আসা যাক। ঢাকার যানজট সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে নগর প্রশাসনের বেপরোয়া বিশ্বাস যে এই সমস্যার একটা সহজ সমাধান আছে। ফ্লাইওভার অথবা দ্রুতগতির রাস্তা অথবা এমনকি গণপরিবহন–ব্যবস্থাকে ঢাকার যানজটের একমাত্র সমাধান ভেবে বসলে এই প্রকট নগর সমস্যার মৌলিক উত্সগুলোকে বোঝা তো যাবেই না, সমাধান তো দূরের কথা। একটি পরিস্থিতির কথা ভাবা যেতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকায় রাস্তার মোড় আছে ৬৫০টির মতো। অথচ ট্রাফিক লাইট আছে মাত্র ৬০টিতে। এত বড় রাজধানী শহরে রাস্তার এই সমীকরণ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও ধারণা করা ভুল হবে যে মোড়ে মোড়ে লাইট বসালেই যানজটের সমাধান হয়ে যাবে। ট্রাফিক লাইটকে যানজটের সমাধান ভেবে বসলে এই ব্যাপক নগর সমস্যার মিথ্যা সরলীকরণই হবে। যত দিন নগরবাসী বুঝতে না পারবে যে ট্রাফিক লাইট মেনে রাস্তায় চলাচল করা নগরজীবনের একটি মৌলিক চাহিদা, তত দিন যানজট নিরসনের কোনো সম্ভাবনা নেই। গণপরিবহনের জন্য নির্ধারিত লেন একটি পরীক্ষিত নগরব্যবস্থা। কিন্তু যে তরুণ বাসচালক গ্রাম থেকে শহরে এসেছে দুই বছর আগে, তার রাস্তার নিয়মকানুন মেনে চলার আগ্রহ থাকবে, এটা আশা করাটা একই সঙ্গে অবাস্তব এবং অযৌক্তিক। একজন বাসচালক যেখানে–সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী নিচ্ছে এবং এর ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যার কারিগরি সমাধান নেই। এখানে বাসচালকদের নগর সড়কব্যবস্থার নিয়মনীতির মৌলিক চাহিদাকে বুঝতে না পারাকে বিশ্লেষণ করতে হবে নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে। রাস্তায় জেব্রা ক্রসিং এঁকে দিলেই কি পথচারীরা তা মেনে চলবে? এখানে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন হলো, পথচারীদের কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় রাস্তার নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে? পৃথিবীর বড় বড় শহর, যেমন লন্ডন, প্যারিস, আর নিউইয়র্ক, তাদের নগর বিবর্তনের একপর্যায়ে এই সরল-জটিল প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে এবং সামাজিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল। এ থেকে আমাদের যা শিক্ষণীয় তা হলো: নগর সড়ককে কার্যকর করতে হলে নগরবাসীকে অলিখিতভাবে স্বীকার করে নিতে হবে যে সুষ্ঠু নগরজীবন তৈরির দায়িত্ব সবার। বাসযোগ্য নগরজীবন তৈরি করা একটি সামাজিক দায়িত্ব। অর্থাৎ, একটা শহরকে সুষ্ঠুভাবে টিকে থাকতে হলে নগরবাসীর কিছু প্রাত্যহিক নগর আচরণকে নগরজীবনের সামাজিক বিধি হিসেবে মেনে নিতে হবে। শহরের নিয়মনীতি মেনে চলার সামাজিক দায়িত্ববোধের যে অভাব রয়েছে, আমাদের মধ্যে তা কিছুটা প্রত্যাশিত। কারণ, আমাদের নগর ইতিহাস খুবই সংক্ষিপ্ত। ১৯৭১ সালে আমাদের নগর জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৭ শতাংশ। কাজেই যানজটের মতো একটি বহুমাত্রিক সমস্যার সমাধানও খুঁজতে হবে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এর জন্য প্রয়োজন সভ্য নগর আচরণ তৈরির সামাজিক উদ্যোগ আর টেকসই সড়ক প্রকৌশলের সমন্বয়। বাস্তবতা হলো এই লক্ষ্য পূরণ করতে হয়তো এক বা দুই প্রজন্ম পার হয়ে যেতে পারে। কত তাড়াতাড়ি যানজটের মতো একটি নগর সমস্যার নিরসন করা যাবে, তা নির্ভর করবে আমরা কত তাড়াতাড়ি যানজটের সনাতনি, একপক্ষীয় কারিগরি সমাধানের বাইরে গিয়ে একে মানবিক সমস্যার আলোকে দেখতে পারব। প্রযুক্তির প্রয়োগ যত সহজ, সামাজিক পরিবর্তন তত সহজ নয়। যানজট নিরসনের জন্য প্রয়োজন নগর মানসিকতার সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তন আনতে হলে বুঝতে হবে আমাদের নগর পরিকল্পনার মানসিকতায় মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের ভূমিকা। যেমন আমাদের নগরচেতনা প্রায়ই ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকানাকে প্রাধান্য দেয়। আরও বেশি সড়ক তৈরি হোক, যাতে করে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার আরও বাড়ে। চাহিদা এবং জোগানের অসম্ভব সমীকরণের ভেতরে বন্দী আমাদের পরিকল্পনার মানসিকতা। একটি উদাহরণ লক্ষণীয়, ঢাকার প্রাত্যহিক কাজকেন্দ্রিক যাতায়াতের মাত্র ৫-১০ শতাংশ ব্যক্তিগত গাড়ির মাধ্যমে পূরণ হয়। অথচ সড়ক পরিসরের ৭০-৮০ শতাংশ গ্রাস করে ব্যক্তিগত গাড়ি। গণপরিবহন–ব্যবস্থাকে অগ্রাহ্য করে, ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহারকে প্রাধান্য দিয়ে নগর পরিকল্পনা করলে এ ধরনের বৈপরীত্য তৈরি হবেই। গণপরিবহন–ব্যবস্থা আমাদের দেশে সব সময়ই অবহেলিত, তার প্রধান কারণ, আমাদের শাসকশ্রেণি আর মধ্যবিত্তের চেতনায় ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকানাকে সামাজিকভাবে মহিমান্বিত করা হয়েছে। এটাও ঠিক যে অনেকেই রাস্তাঘাটে নিরাপত্তার অভাব এবং নারীদের চলাচলে সামাজিক অস্বস্তির বিপরীতে ব্যক্তিগত গাড়িকে আবশ্যিক সমাধান হিসেবে দেখেন। কিন্তু এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমাদের মধ্যবিত্তের মনমানসিকতায় গাড়ির মালিকানাকে দেখা হয় অর্থনৈতিক উন্নতির সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতীক হিসেবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মানসিকতাই আমাদের নগর এবং সড়ক পরিকল্পনার মূল চালিকাশক্তি। ভালো গণপরিবহন–ব্যবস্থা যে আবশ্যিকভাবে ব্যক্তিগত গাড়ির ওপরে নির্ভরতা কমিয়ে আনবে—এ রকম পর্যাপ্ত জরিপনির্ভর প্রমাণ নেই। যানজটের সৃষ্টিশীল নিরসনের জন্য এ কারণেই আমাদের এই সমস্যাকে নগরবাসীর সামাজিক আচরণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে কেন দিল্লির রাস্তায় ৮০ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি ছুটে চলেছে। প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ নতুন গাড়ি যোগ হচ্ছে দিল্লির রাস্তায়। ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিন ২০০-র ওপর গাড়ি নামছে। এই বিশাল স্রোতকে সামাল দিতে আরও বেশি রাস্তা কোনোমতেই সমাধান নয়। চাহিদা এবং জোগানের সনাতনি নগরচিন্তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যতই নতুন রাস্তা তৈরি হোক না কেন, ব্যক্তিগত গাড়ির বহর তা শিগগির গ্রাস করে ফেলবে। কাজেই আমাদের নগর পরিকল্পনার দার্শনিক এবং কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। জোগান দেওয়ার দক্ষতাকে নয়, বরং চাহিদাকে কমিয়ে আনার ওপরে প্রাধান্য দিতে হবে। সেই সঙ্গে নগরবাসীর মধ্যে নিয়ম মানার সংস্কৃতি তৈরির সামাজিক আন্দোলন শুরু করা প্রয়োজন। একটি নগরকে বাসযোগ্য করে তুলতে কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে। এই ধারণাকে একটি বৃহত্তর সামাজিক মূল্যবোধে পরিণত করতে হবে। রৈখিক, ভোগবাদী আর ব্যক্তিনির্ভর নগরজীবন নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা আর জনসম্পৃক্ততার নগরায়ণ হচ্ছে ভবিষ্যতের কাঙ্ক্ষিত পথ। আজকে টেকসই নগরায়ণের যে বৈশ্বিক আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার মূল কথাই হচ্ছে এটি। আদনান মোর্শেদ: সহযোগী অধ্যাপক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা, ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আমেরিকা, ওয়াশিংটন ডিসি। | 164,435 |
নীলফামারী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৫৬ | ২৮ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৫৯ | নীলফামারী,বিশাল বাংলা,রংপুর বিভাগ | 0 | আদমশুমারি প্রকাশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/514264 | নীলফামারী জেলায় জনসংখ্যা ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ২২ হাজার ৯৬৪ জন এবং নারী ৯ লাখ ১১ হাজার ২৬৭ জন। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ প্রকল্পের কমিউনিটি প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় জেলা পরিসংখ্যান বিভাগ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জাকীর হোসেন। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নীলফামারী জেলা পরিসংখ্যান বিভাগের উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শফিকুল ইসলাম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১১৮৬ জন। প্রতি পরিবারে জনসংখ্যার হার শতকরা ৪ দশমিক ৩৪ জন। | 134,985 |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ নভেম্বর ২০১৬, ২২:০৪ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০৬ | অপরাধ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া | null | নাসিরনগরে আ. লীগের তিন নেতা বহিষ্কার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1014237 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িঘরে দুর্বৃত্তদের হামলা চালানোর আগে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।আজ শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বহিষ্কৃত নেতারা হলেন: উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, তাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ আলী ও হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া।জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন দলের ওই তিন নেতা সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তাই প্রাথমিকভাবে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করে যদি কেউ ওই সমাবেশে অংশ নিয়ে থাকেন বলে প্রমাণিত হয় তবে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক যুবকের ধর্মীয় অবমাননাকর একটি পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত রোববার সকালে স্থানীয় ডিগ্রি কলেজ মোড়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’আতের উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক রিয়াজুল করিমের নেতৃত্বে এবং স্থানীয় খেলার মাঠে খাঁটি আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’আতের সভাপতি মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে সমাবেশ হয়। ওই দিন ওই সমাবেশ থেকে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। | 262,173 |
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ও গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৯ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৩০ | বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা | 0 | দুই জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনা, ছাত্রলীগ নেতাসহ নিহত ৪ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1031551 | সিরাজগঞ্জে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় গত মঙ্গল ও গতকাল বুধবার ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নাটোরের গুরুদাসপুরে গতকাল কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও তাঁর সহযোগী মারা গেছেন।সিরাজগঞ্জে নিহত ছাত্রলীগ নেতার নাম ইমতিয়াজ হাসান (২২)। অপর একজন হলেন হাতেম আলী (৭২)। আর নাটোরে নিহত হয়েছেন ট্রাকচালক রবি (৩০) ও তাঁর সহযোগী খোকন (৩২)।সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, গতকাল ভোর ছয়টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের রায়গঞ্জ উপজেলার ভূঁইয়াগাতী এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে চারজন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতেম আলী মারা যান। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক ইত্তেফাক-এর গোপালপুর প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীনের বাবা।এর আগে মঙ্গলবার উল্লাপাড়ায় নগরবাড়ী-বগুড়া মহাসড়কে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালক ইমতিয়াজ হাসান নিহত হন। তিনি উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কউসিক আহমেদ বলেন, ইমতিয়াজ ও তাঁর বন্ধু রুবেল মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরবাড়ী-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিবাহী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে ঘটনাস্থলেই ইমতিয়াজ নিহত হন। রুবেলকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এদিকে গুরুদাসপুর উপজেলায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা টোল প্লাজায় কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে ট্রাকচালক রবি ও তাঁর সহযোগী খোকন নিহত হয়েছেন। তাঁরা দুজনই মেহেরপুর সদর উপজেলার চানবিল গ্রামের বাসিন্দা।বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। | 270,249 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | entertainment | বিনোদন | ২৯ মে ২০১৯, ১৯:৩৮ | ২৯ মে ২০১৯, ১৯:৪১ | বাংলা গান | null | বিজয় সরকারের গানের সেই স্বাদ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1596667 | ‘এ পৃথিবী যেমন আছে, তেমনই ঠিক রবে, সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে’, ‘পোষা পাখি উড়ে যাবে, সজনি গো আমি একদিন ভাবিনী মনে’, ‘ও তুমি জানো না জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা’—এমনই অসংখ্য জনপ্রিয় বিচ্ছেদ গানের স্রষ্টা কবিয়াল বিজয় সরকার। চারণ কবি হিসেবে পরিচিত এই সংগীত সাধক একজন বাউলশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার। ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর গুণী এই চারণকবি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। নবীন শিল্পী সাইফুল ইসলামের কণ্ঠে বিজয় সরকারের গানের মূল গায়কির স্বাদ পেয়েছেন তাঁরই ছেলে কাজল অধিকারী। সাইফুল ইসলামের গান নিয়ে ঈদ উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন প্রকাশ করেছে ‘মর্মের মাঝে’ শিরোনামের নতুন অ্যালবাম।এ সপ্তাহে চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে ব্যতিক্রম প্রয়াত শিল্পী সাইফুল ইসলামের অ্যালবাম। অ্যালবামটিতে যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন মানব মুখার্জি। বিচ্ছেদ নয়, বিজয় সরকারের ইসলামি গান গেয়েছেন তিনি। গানগুলো হলো ‘নবী নামের নৌকা’, ‘কী যেন কী দিলে রে আল্লা’, ‘জ্বেলে মর্মের মাঝে’, ‘এবার ফেলে দিয়ে মায়ার বোঝা’, ‘নাম হারা ওই নদীর কিনারা’, ‘তুমি জান না রে বাঁশি’, ‘তোমার কাছে যখন থাকি’ এবং ‘তোমার একটি দিনের একটু পরশ’।একেবারেই নিভৃতচারী শিল্পী ছিলেন সাইফুল ইসলাম। খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না তাঁর সম্পর্কে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কাছেও তেমন তথ্য মেলেনি। স্থানীয়ভাবেই গান করতেন। একসময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। শারীরিক দুর্বলতা তাঁর কণ্ঠ থামাতে পারেনি, যতক্ষণ না জীবন তাঁকে থামিয়েছে—এমন তথ্য দিলেন বিজয় সরকারের ছেলে কাজল অধিকারী। তিনি জানান, মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাঁর কণ্ঠে কিছু গান রেকর্ড করে ধরে রাখার আয়োজন হয়েছিল। সে কাজে সহযোগিতা করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লোকসংগীত বিশেষজ্ঞ শুভেন্দু মাইতি ও তাঁর লালন আকাদেমি। কাজল অধিকারী এখন থাকেন ভারতে। ফোনে কথা হলো তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সাইফুলের গানে বাবার গানের মূল গায়কির স্বাদ পেয়েছি!’ দেশের আনাচকানাচে ঘুরে আসরে আসরে গান করতেন সাইফুল ইসলাম। তাঁর গান তেমন রেকর্ড করা হয়নি। ভারতে চিকিৎসাকালীন কিছু গান ধারণ করা হয়েছিল। সেগুলোই এবার প্রকাশ করা হলো। | 404,025 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০৩ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০৮ | ইউরোপ | 0 | আইএস জঙ্গিদের ওপর ফ্রান্সের প্রথম হামলা | http://www.prothom-alo.com/international/article/324871 | ইরাকের ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের ওপর প্রথমবারের মতো বিমান হামলা শুরু করেছে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের কার্যালয় গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব ইরাকে আইএসের দপ্তর লক্ষ্য করে বিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন হামলা আরও চালানো হবে। খবর বিবিসির।ইরাক ও সিরিয়ার বেশ বড় একটি অঞ্চল আইএসের জঙ্গিদের দখলে আছে। সেখানে খিলাফতের ঘোষণা দিয়েছে তারা। গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য করে ১৭০টির বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ওয়াশিংটনের প্রথম মিত্র হিসেবে আইএসকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করেছে ফ্রান্স। অতর্কিত হামলা হিসেবেই ফ্রান্সের সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট এটি শুরু করলেন। এর আগে তিনি মালি ও মধ্য আফ্রিকায় সামরিক অভিযানে তাঁর দেশকে জড়িয়েছেন। ফ্রান্সের সরকার নিশ্চিত করেছে যে তাদের বিমান হামলা ইরাকেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং স্থলে যুদ্ধের জন্য কোনো সেনা মোতায়েন করা হবে না।রয়টার্স জানায়, গতকাল ইরাকের কুর্দি নেতা মাসুদ বারজানি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি শহর রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছেন। গত দুই দিনে সীমান্তবর্তী কুর্দি শহর আয়ান আল-আরাবের আশপাশের কয়েকটি গ্রামে আইএস জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলার আশঙ্কায় কয়েক হাজার কুর্দি শহর ছেড়ে পালিয়েছে। | 94,959 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুলাই ২০১৫, ০১:১২ | ২৮ জুলাই ২০১৫, ০১:১৩ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/586531 | চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের দশ রশিয়া গ্রামে গতকাল সোমবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন।এলাকাবাসী সূত্র ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্ত্তুজা বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে ঈদের নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল কাইয়ুম ও একরামুলের সমর্থক দুই দল বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে গতকাল সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় পক্ষের ছোড়া ককটেল ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কমপক্ষে ২২ জন আহত হন। এদের মধ্যে একরামুলের সমর্থক হাবিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও সোলায়মানকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ওসি গোলাম মর্ত্তুজা আরও বলেন, একরামুল ও আবদুল কাইয়ুম দুজন চাচাতো ভাই। এদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। মূলত এই বিরোধ থেকেই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। | 155,604 |
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫২ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫২ | বাগমারা,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | বিলে বাঁধ দিয়ে আ.লীগ কর্মীদের মাছ চাষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/314218 | রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে ও বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের কারণে প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমিতে পানি পাচ্ছেন না কৃষক।কালভার্টের মুখ খুলে দেওয়ার দাবিতে কৃষকেরা গত ২৮ আগস্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের কর্মীরা দাবি করছেন, তাঁরা কৃষকদের অনুমতি নিয়ে মাছ চাষ করেছেন।রাজশাহীর জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া কৃষকদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন কর্মী উপজেলার চানপাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে নির্মাণ করা দুটি কালভার্টের মুখ বালু ও মাটিভর্তি বস্তা ফেলে বন্ধ করে দেন। পরে তাঁরা চানপাড়া ও তক্তপাড়া বিলের কিছু অংশে বাঁশের বেড়া ও মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। প্রভাবশালী হওয়ায় কৃষকেরা তাঁদের মাছ চাষে বাধা দিতে পারেননি। তাঁদের মাছ চাষের জন্য বিলের আশপাশের ভবানীগঞ্জ, দানগাছি, তক্তপাড়া, কালাপাড়া, দাসপাড়া, সাঁকোয়াসহ প্রায় ১০ গ্রামের কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।কৃষক আবুল কাশেম, ইয়াছিন আলী, মুনসুর রহমান, মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে জানান, বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি চানপাড়া খাল দিয়ে ফর্কিনী নদী ও আত্রাই অভিমুখে চলে যায়। এ জন্য কৃষকেরা সহজে চাষাবাদ করতে পারেন। কিন্তু কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় বিলের চারপাশের পানি নিষ্কাশন হতে পারেনি। এবার দেড় হাজার বিঘা জমিতে আমনসহ বিভিন্ন চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া এবার মাছ চাষ করায় বিলের নিম্নাঞ্চলে রবিশস্য চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, কালভার্ট দুটির মুখ বস্তা ফেলে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিলের চানপাড়া অংশে পানি না থাকলেও তক্তপাড়া অংশে টলমল পানি দেখা যায়। চানপাড়ায় বাঁশের বেড়া ও তক্তপাড়ায় মাটির বাঁধ দিয়ে ঘিরে সেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন বছর আগে থেকে চানপাড়া অংশে আওয়ামী লীগের কর্মীরা মাছ চাষ করলেও এবার প্রথম তক্তপাড়া অংশে মাছ চাষ শুরু করেছেন। এই মাছ চাষের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় ১৭ কর্মী জড়িত।চানপাড়ার বাসিন্দা ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুর রহিম জানান, মাছচাষিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কর্মী। তাঁদের বাধা দিয়ে বিপদ ডেকে আনতে কে যাবে।এ ব্যাপারে আবদুস সালাম, শাহীনুর রহমান, আবুল কালাম ও শাহাদত হোসেন নিজেদের আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী দাবি করে জানান, তাঁরা কৃষকদের অনুমতি নিয়েই কালভার্টের মুখ বন্ধ করে বিলে মাছ চাষ করছেন। এই মাছ চাষে কৃষকদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে তাঁরা দাবি করেন।মারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম আলী বলেন, ‘যাঁরা মাছ চাষ করছেন, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী। আর এই মাছ চাষ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে বলে শুনেছি।’উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদি হাসান জানান, এ ঘটনায় এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে রোববার ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। অচিরেই তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওর কাছে জমা দেওয়া হবে। | 91,743 |
শওকত হোসেন | economy | অর্থনীতি | ২৪ আগস্ট ২০১৫, ০১:২৪ | ২৪ আগস্ট ২০১৫, ০৯:৫৭ | বাণিজ্য | null | বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছে কেন? | http://www.prothom-alo.com/economy/article/610879 | কেউই ভাবেনি এক বছরের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম অর্ধেকেরও নিচে নেমে যাবে। বিশ্ববাজারে এখন তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি মাত্র ৪০ ডলার। ছয় বছরের মধ্যে এ দর সবচেয়ে কম। জ্বালানি তেল হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পণ্য। এর সঙ্গে জড়িত বিশ্বের অর্থনীতির ওঠা-নামা। এমনকি রাজনীতিকেও প্রভাবিত করে তেলের দাম। ফলে এখন তেলের দাম অব্যাহতভাবে কমে যাওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে নানাভাবে এর প্রভাব পড়ছে। বড় বড় তেল কোম্পানিগুলো বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে। অন্তত এক লাখ তেলশ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। কূপ খনন ও উত্তোলনের যন্ত্রপাতির উৎপাদন ও বিক্রি কমে গেছে। অর্থনীতিই কারণ: প্রশ্ন হচ্ছে কী এমন ঘটল যে তেলের দাম কমতেই থাকবে। এর কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন অর্থনীতির খুব সাধারণ তত্ত্বের কথা। আর তা হচ্ছে চাহিদা-জোগান তত্ত্ব। এখন বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অনেক বেশি। কিন্তু সে তুলনায় চাহিদা কমে গেছে। সে কারণেই দাম কমছে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর খবর অনুযায়ী, গত ছয় বছরে যুক্তরাষ্ট্র তার তেলের উৎপাদন দ্বিগুণ করেছে। বড় তেল উৎপাদনকারী দেশ হয়েও যুক্তরাষ্ট্র তেল আমদানি করে। তবে এখন তা কম করছে। এর বড় কারণ হচ্ছে ‘শেল ওয়েল’ বা পাথরের খাঁজে সঞ্চিত তেলের বড় মজুত পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে সৌদি আরব, নাইজেরিয়া বা আলজেরিয়ার মতো দেশগুলো আগে যুক্তরাষ্ট্রে তেল বেশি রপ্তানি করলেও এখন তাদের নজর দিতে হচ্ছে এশিয়ার দিকে। সেখানেও আবার অনেক প্রতিযোগিতা। ফলে বাজার ধরতে দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছে তারা। এ ছাড়া কানাডা, ইরাক, এমনকি রাশিয়াও তেল সরবরাহ বাড়িয়েছে। এ তো গেল জোগানের দিকটি। এবার দেখা যাক চাহিদা পরিস্থিতি। ইউরোপের অর্থনীতি মন্দায়। চীনের অর্থনীতি গতিমন্দায়। অনেক দেশের গাড়ি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি জ্বালানিসাশ্রয়ী। এর ওপর চীন আরেক দফা তাদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করেছে। এতে তেলের দাম সামনে হয়তো আরও কমবে। ওপেক কী করছে: চাহিদা-জোগানের ভারসাম্যহীনতা আগেও হয়েছে। প্রতিবারই তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক উৎপাদন কমিয়ে ভারসাম্য ঠিক রেখেছে। কিন্তু এবার আর ওপেকের সেই ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে কথাও কম হচ্ছে না। বিশ্বে এখন যে তেল উৎপাদন হয়, তার মাত্র ৪০ শতাংশ করে ওপেকের দেশগুলো। তা ছাড়া ওপেক এখন চাচ্ছেও না সরবরাহ কমাতে। যদিও ওপেক তেলের যে দর চায়, তার চেয়ে এখনকার দর ৫০ শতাংশ কম। তারপরেও ওপেক ২০১৪ সালের ভিয়েনা বৈঠকে সরবরাহ কমাবে না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাতে অটল আছে। ইরান, ভেনেজুয়েলা ও আলজেরিয়া সরবরাহ কমাতে চাইলে এতে অনিচ্ছুক ওপেকের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য সৌদি আরব। সৌদি আরবের বক্তব্য হচ্ছে সরবরাহ কমালে তারা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং প্রতিযোগীদের মুনাফা বাড়বে। সরবরাহ না কমানোর বিষয়ে বেশি অটল ছিলেন সৌদির প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ। তবে বর্তমান বাদশাহ সালমান এই নীতি থেকে সরে আসবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন না। কিন্তু কত দিন কঠোর অবস্থান ধরে রাখবেন, সেটিও অনেকের প্রশ্ন। কারণ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, সৌদি আরব ও উপসাগরের অন্য দেশগুলো কেবল বর্তমান বছরেই আয় হারিয়েছে ৩০০ বিলিয়ন ডলার। কার লাভ, কার ক্ষতি: তেলের দাম কমায় উৎপাদনকারী সবগুলো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মধ্যে আছে রাশিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, ইকুয়েডর ও ব্রাজিল। এর মধ্যে তেল রপ্তানির ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল রাশিয়া। দেশটির রপ্তানির ৭০ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। হিসাবটি হচ্ছে ব্যারেলপ্রতি এক ডলার দাম কমলে রাশিয়ার ক্ষতি ২০০ কোটি ডলার। তেলের দাম কমায় কিন্তু আবার ইউরোপ ও এশিয়া খুশি। বিশেষ করে তেল আমদানিনির্ভর চীন, জাপান ও ভারত বেশি লাভবান হয়। এতে দেশগুলো মূল্যস্ফীতি সীমার মধ্যে রাখতে পারছে। বলা হচ্ছে তেলের দাম ১০ শতাংশ কমলে অর্থনীতিতে উৎপাদন বাড়ে দশমিক ১ শতাংশ। আর খুশি সাধারণ ভোক্তারা।তবে বাংলাদেশ সরকার এতে লাভবান হলেও এর সুবিধা পায়নি সাধারণ মানুষ। কারণ, সরকারই তেল আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে, দামও নির্ধারণ করে দেয়। ফলে সরকারের মুনাফা বাড়লেও সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে তেলের দাম কমার কোনো প্রভাব নেই।আরও পড়ুন..ষড়যন্ত্র–তত্ত্ব!দেশেও এবার দাম কমছে | 162,685 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৬ মার্চ ২০১৭, ০১:৪৪ | ১৬ মার্চ ২০১৭, ০১:৪৫ | -1 | 0 | নংথমবমের শপথ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1109455 | উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুরে প্রথম বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নংথমবম বীরেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ইম্ফলে রাজভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সাবেক ফুটবলার ও বিএসএফের কর্মী নংথমবম বীরেন শপথবাক্য পাঠ করেন। তাঁকে শপথ পাঠ করান রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লা। একই সঙ্গে শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ওয়াই জয়কুমার সিং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এদিন আটজন মন্ত্রী শপথ নেন। ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় বিজেপি মাত্র ২১টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নংথমবমের দাবি, ‘অন্য দল মিলিয়ে প্রয়োজনীয় ৩২ জন বিধায়ককেই সশরীরে রাজভবনে হাজির করতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম। তাই রাজ্যপাল আমাদেরই সরকার গড়তে ডেকেছেন।’ আগরতলা প্রতিনিধি | 303,295 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৮ মে ২০১৭, ১৫:৪৮ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:১৯ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,ভারত,ক্রিকেট | 0 | দ্রাবিড়কে কোচ বানাক ভারত, পন্টিংয়ের পরামর্শ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1196421 | ভারতের নতুন কোচের খোঁজ চলছে। অনিল কুম্বলে এখনো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রথম পছন্দ। হয়তো কুম্বলেকেই আবারও নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে রিকি পন্টিং একটা ভিন্ন ভাবনা এনে হাজির করেছেন। সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের মতে, ভারতের উচিত রাহুল দ্রাবিড়কে কোচ করা।ভারতের যুবদল কিংবা ‘এ’ দলকে নিয়ে কাজ করে এরই মধ্যে দ্রাবিড় আলাদা নজর কেড়েছেন। পন্টিং মনে করেন, এবার তাঁকে জাতীয় দলেও ভাবা উচিত, ‘ভারতের কোচ কে হবে, তা তো আর আমার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না। এটা বিসিসিআইয়ের ব্যাপার। ওরা কি ভারতীয় কোচ চায়, নাকি বিদেশি? আমার মনে হয় না বিসিসিআই ওর (দ্রাবিড়) চেয়ে ভালো কোনো প্রার্থী পাবে। ও যদি এ কাজের ব্যাপারে আগ্রহী হয়, আমার ধারণা সে দুর্দান্ত করবে।’দ্রাবিড় কেন ভালো কোচ হবেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘খেলাটার ব্যাপারে ওর অসামান্য জ্ঞান। ও অনেক অভিজ্ঞ। তিন ফরম্যাটই ও খুব ভালো বোঝে, কারণ আইপিএলেও সে কাজ করেছে। প্রার্থীদের মধ্যে ও অসাধারণ একজন হবে সন্দেহ নেই, তবে ভারতের কোচ হিসেবে কে সবচেয়ে মানানসই হবে, তা বিসিসিআই ঠিক করবে। তা ছাড়া অধিনায়ক কাকে চায়, সেটিও বড় ব্যাপার। বিরাট (কোহলি) ওর টেস্ট দলকে ঘিরে যা চাইবে, বিসিসিআই সেটাই করবে বলে আমি নিশ্চিত।’কোহলি অবশ্য সরাসরি না হলেও এরই মধ্যে নিজের পছন্দের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কুম্বলেকেই এখানে জুটি হিসেবে চান তিনি। | 319,883 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০২ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০২ | বিনোদন | 0 | চলচ্চিত্র | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/333628 | দেশ টিভিতে সকাল আটটায় দেখানো হবে রাজ্জাক অভিনীত পাগলা রাজা ছবিটিপ্রসেনজিৎ। জলসা মুভিজে আজ প্রসেনজিৎ অভিনীত পাঁচটি বাংলা ছবি দেখানো হবেএনটিভিসকাল ৮-৪৫ সাক্ষাৎ (মান্না, চম্পা, নাঈম, শাবনাজ)।আরটিভিদুপুর ১২-৩৫ কসম (ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জু)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-৫০ নরপিশাচ।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ এক বুক ভালোবাসা (ইমন, পূর্ণিমা)।গাজী টিভিসকাল ১০-৩০ কালা মানিক (রুবেল, রানী, অমিত হাসান)।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩০ অমর কণ্টক (দীপঙ্কর দে, সুমিত্রা মুখার্জি, চিরঞ্জিত, মুনমুন সেন)।স্টার জলসাসকাল ৯-৩০ সপ্তমী (প্রসেনজিৎ, ইন্দ্রানী হালদার)। ১২-৩০ তোমায় পাব বলে (প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, সৌমিত্র)। ৩-৩০ সূর্য (প্রসেনজিৎ, অরুণিমা, রঞ্জিত মল্লিক)। ৬-৩০ বাইশে শ্রাবণ (প্রসেনজিৎ, গৌতম ঘোষ, যিশু, রাইমা সেন)। ৯-৩০ প্রতিবাদ (প্রসেনজিৎ, অর্পিতা পাল)।জি সিনেমাসকাল ৮-৪৪ জল্লাদ (মিঠুন, রম্ভা, মধু)। ১১-৫২ আ আব লৌট চলে (অক্ষয় খান্না, ঐশ্বরিয়া রাই)। ৩-০৬ রাম তেরি গঙ্গা মাইলি (রাজীব কাপুর, মন্দাকিনী)। ৬-৩১ তেরি মেহেরবানিয়া (জ্যাকি শ্রফ, পুনম ধীলন)। ৯-৩০ নায়ক (অনিল কাপুর, রানী মুখার্জি)।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-৪৪ ওয়াক্ত হামারা হ্যায় (অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, আয়শা জুলখা, মমতা কুলকার্নি)। ১২-১৬ বান্নি দ্য হিরো (আল্লু অর্জুন)। ২-৩৬ সনম বেওয়াফা (সালমান খান, চাঁদনী)। ৬-১২ পুলিশওয়ালা গুন্ডা (পবন কল্যাণ, শ্রুতি হাসান)। ৯-২৫ নাম্বার ওয়ান মিস্টার পারফেক্ট (প্রভাষ, কাজল)।স্টার মুভিজ (ভারত)সকাল ১০-৩০ ডাই হার্ড (ব্রুস উইলিস)। ১-৩০ ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস (ভিন ডিজেল, পল ওয়াকার, মিশের রডরিজ)। ৩-৩০ জর্জ অব দ্য জাঙ্গল (ব্রেনড্যান ফ্রেজার)। ৫-৩০ দ্য ট্রান্সপোর্টার (জেসন স্ট্যাথাম)। ৭-০০ মি, মাইসেলফ অ্যান্ড ইরিন (জিম কেরি, রেনি জেলওয়েজার)। ৯-৩০ ডেথ রেস থ্রি (ভিং রেমস)। ১১-৩০ আল্ট্রাভায়োলেট (মিলা জভোভিচ)।এইচবিওসকাল ১০-০৩ স্টেপ আপ টু। ১১-৫৫ ফ্রাইডে দ্য থার্টিনথ। ১-৩৩ থার্টি ডেজ অব নাইট। ৩-৩১ দ্য কনজারিং (প্যাট্রিক উইলসন)। ৫-৩৩ টেকেন। ৭-২০ মেক ইয়োর মুভ। ৯-৩০ দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: দ্য রিটার্ন অব দ্য কিং (শন বিন, কেট ব্ল্যানচেট, অরল্যান্ডো ব্লুম)। | 97,786 |
আশীষ-উর-রহমান | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ মে ২০১৪, ০২:৫৬ | ০৩ মে ২০১৪, ০৩:১৮ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ | null | উত্তর নেই, প্রশ্নের পাহাড় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/206995 | শীতলক্ষ্যা এখন প্রায় পুকুরের মতো শান্ত। স্রোতের টান তেমন নেই। দূর থেকে মনে হচ্ছিল, মাঝনদীতে একটি কলাগাছ। লিকলিকে ঢেউয়ে এই ডোবে এই ভাসে। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির উঠানে গেরস্থালি কাজ করার সময় নদীর দিকে চোখ পড়লে ভাসমান বস্তুটিকে দেখেন জেসমিন বেগম।নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জের শান্তিনগর গুচ্ছগ্রামের শেষ মাথায় চরধলেশ্বরীর একেবারে শেষ বাড়িটি জেসমিন বেগমদের। পাশের নদী দিয়ে এটা-ওটা প্রায়ই ভেসে আসে। দুইদিন আগেও একটি মরা গরু ভেসে এসেছিল। দিন পেরিয়ে গেল। নদীর বুক ছুঁয়ে আসা যে ঠান্ডা বাতাস গা জুড়িয়ে দেয়, তা যেন ভারী হয়ে গেছে পচা গন্ধে। বুধবার সেই ভাসমান বস্তুটি ঢেউয়ে ঢেউয়ে সরে এসে আটকে গেল নদীর বাঁকে জমে থাকা কচুরিপানার মধ্যে। চরের খেতে কাজ করা কৃষকদের সঙ্গে জেসমিন বেগমও কৌতূহলী হয়ে কিনারে গিয়ে দেখলেন, বস্তুটি কলাগাছ নয়। পাঞ্জাবি গায়ে পচে ফুলে ওঠা মরা মানুষ। খানিক দূরে দূরে আরও ছয়টি লাশ কখন যেন এসে আটকে আছে। এত লাশ দেখে তাঁরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এর পরের ঘটনা তো ইতিমধ্যে সবারই জানা। নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে শীতলক্ষ্যা নদী সোজা দক্ষিণে এসে মদনগঞ্জ পার হয়ে বিশাল একটি বাঁক নিয়েছে। অনেকটা ইংরেজি ‘এস’ অক্ষরের মতো। পশ্চিমে শাহ সিমেন্ট কারখানা। পূর্ব দিকে বিশাল চর। সেখানে মরিচ, লালশাক, পুঁইশাক, বেগুন, টমেটোর আবাদ। তীর ঘেঁষে ঢলঢল বথুয়াশাক আর বিষকাঁটালের বিস্তার। স্রোতের টানে ভেসে আসা কচুরিপানা বাঁকের খাঁজে এসে যেন বিশ্রাম নিচ্ছে। সরকারি এই খাসজমিতে ভূমিহীনদের জন্য করা হয়েছে গুচ্ছগ্রাম। বেশ ফাঁকে ফাঁকে মাটি ফেলে টিলার মতো উঁচু করে টিনের ঘর। আরও কিলোমিটার দুয়েক দক্ষিণে মিলেছে পাঁচটি নদী। পশ্চিম থেকে মুন্সিগঞ্জ হয়ে এসেছে বুড়িগঙ্গা। উত্তর-পূর্ব থেকে ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র আর মেঘনা। উত্তর থেকে শীতলক্ষ্যা। নদ-নদীর এই মিলনস্থলটি বিশাল। চরের মানুষদের অনুমান, মৃতদেহগুলো ফেলা হয়েছিল ওই মিলন স্থলটিতে। সেখান থেকে জোয়ারের টানে উজানে এসে এই খাঁড়ির ভেতর আটকে গেছে। কারণ, শীতলক্ষ্যায় এখন এমন স্রোত নেই যে উত্তর থেকে এত দূর অবধি ইট বাঁধা লাশগুলো ভেসে আসতে পারে।বৃহস্পতিবার আমরা যখন নারায়ণগঞ্জ ঘাট থেকে ট্রলারে মদনগঞ্জের দিকে রওনা দিই, তখন আরও একটি লাশ এসে ভিড়েছে চরধলেশ্বরীর কিনারে। চরের মানুষদের মধ্যে প্রচণ্ড ভয় আর উদ্বেগ। নিরিবিলি শান্ত গ্রামের কিনার ছুঁয়ে যাওয়া নদীতে একের পর এক হাত-পা বাঁধা বীভৎস লাশ ভেসে ওঠায় মনের শান্তি ছুটে গেছে। পুলিশ, ডিবি, গণমাধ্যমকর্মীদের ঘন ঘন যাতায়াতে সবাই সন্ত্রস্ত। কী হতে কী হয়ে যায়—এই ভয়ে কেউ কথাই বলতে চান না। তাঁদের মনের অবস্থার আঁচ পাওয়া গেল এখানকার আশ্রয়ণ দুগ্ধ খামারের প্রবীণ কর্মী আবুল কালামের কথায়। তিনি সোজাসাপটা বলে দিলেন, ‘হুনছি গাঙ্গে লাশ ভাসতাছে। তয় কু-মরা। হ্যার লাইগ্যা দেখতে যাই নাই।’ ‘কু-মরা’ শব্দটি কানে নতুন এল। ব্যাখ্যা পাওয়া গেল তাঁর কাছেই। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে সেটি ‘সু-মরা’। কু-মরা হলো অপঘাতে মৃত্যু। লাশের কথা উঠলেই গ্রামবাসী নানাভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের ভয়, আইনশৃঙ্খলার লোকেরা আবার ধারণা না করে যে এই গ্রামেই অপহূত লোকগুলোকে মেরে নদীতে ফেলা হয়েছে। কথায় আছে, ‘বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে সর্বাঙ্গ’। কে যেতে চায় সেই ঝামেলায়! অপরিচিত লোক দেখলেই তাঁরা এড়িয়ে চলেন। শান্তিনগরে বড়ই অশান্তি সৃষ্টি করেছে ভেসে আসা মৃতদেহগুলো।তবে ক্ষতিবিক্ষত, প্রায় গলিত মৃতদেহগুলোকেই পরম মমতায় নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন তাঁদের স্বজনেরা। মানুষগুলো অপহূত হওয়ার পর যে ভয়ানক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল তাঁদের মনে, লাশ পাওয়ায় তা পরিণত হয়েছে গভীরতম শোকে। কালো মেঘের পরে যেন অঝোরধারার বৃষ্টি। সেই অশ্রুবাণে ভেসে যাচ্ছিল তাঁদের চোখ। আটকে যাচ্ছিল কথা। সন্ধ্যায় আমরা গিয়েছিলাম সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী পশ্চিমপাড়ায়। সেখানে গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি। পৈতৃক ৯ শতাংশ জমিতে চার ভাই মিলে বাড়ি করছেন। দোতলার কাজ চলছে। বাড়িতে কান্নার রোল। জাহাঙ্গীর আলম আরেক অপহূত মনিরুজ্জামান স্বপনের ব্যক্তিগত গাড়ি চালাতেন। প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মনিরুজ্জামানের বাড়িও কদমতলীতেই। গত রোববার মনিরুজ্জামানের গাড়িতে করেই তাঁরা আদালতে হাজিরা দিয়ে ফিরছিলেন। গাড়িতে আরও ছিলেন প্যানেল মেয়রের বন্ধু তাজুল ইসলাম ও লিটন। জানা গেল, নজরুল ইদানীং দূরে কোথাও যেতে স্বপনের গাড়িতেই যেতেন। মার্চের মাঝামাঝি থেকে স্বপনের গাড়ি চালাতেন জাহাঙ্গীর। তাঁর বড় ভাই শাহাবুদ্দিন জানালেন, জাহাঙ্গীর আগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ‘দুরন্ত’ বাস চালাতেন। অনেক পরিশ্রম। তাই বাস চালানো ছেড়ে ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর কাজ নেন। বেতন আট হাজার টাকা। মাত্র দেড় বছর হলো বিয়ে করছেন জাহাঙ্গীর। স্ত্রী শামসুন্নাহার ইপিজেডে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।শামসুন্নাহারের চোখ জবা ফুলের মতো লাল। অশ্রু ঝরছে। বলছিলেন, ‘আমার স্বামী নিরীহ গরিব মানুষ। তার কী দোষ? জন্মের আগেই আমার সন্তান তার বাপ হারইল...।’ রুদ্ধ হয়ে এল কণ্ঠ। তাঁর মা মিনারা বেগম মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন মেয়েকে। শোকের সঙ্গে তাঁর হূদয় আরও বেশি ভারাক্রান্ত করে তুলেছে মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তা। আক্ষেপ করছিলেন, ‘এত অল্প বয়সে মাইয়াডা বিধবা হইল। কী হইব এর ভবিষ্যৎ?’ আর জাহাঙ্গীরের বৃদ্ধ মা মেহেরুন্নেসার তো কথা বালার শক্তিই ছিল না। নিথর হয়ে পড়ে ছিলেন বিছানায়। জাহাঙ্গীরের বাবা আগেই গত। তাই তাঁকে অন্তত পুত্রশোক সহ্য করতে হয়নি স্বপনের বাবা হায়দার আলী খাঁর মতো। বেলা ডোবার পর স্বপনের বাড়িতে গিয়েও দেখা গেল একই রকম শোকার্ত পরিবেশ। স্বপন ঠিকাদারি করতেন। বাড়ির উঠানে বিলাপ করছিলেন স্বপনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী খাঁ—‘আমি মুক্তিযোদ্ধা। দ্যাশের জন্য যুদ্ধ করছি। আমার ছেলে অপহরণ হইয়া মইরা যাইব ধারণা করতে পারি নাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।’ স্বপনের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার নির্বাক। দুই মেয়ে। ১০ বছরের ইশরাত জাহান কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে। ছোট মেয়ে নয় মাসের মাহীর তো বোঝারই সাধ্য নেই সে কী হারিয়েছে। মাসুম বাচ্চা দুটি আর কোনো দিন পাবে না বাবার আদর। নারায়ণগঞ্জের লিংক রোডের জালকুড়িতে আইনজীবী চন্দন সরকারের দোতলা বাড়ি। বৃহস্পতিবার তাঁর বড় মেয়ে চক্ষুবিশেষজ্ঞ সুস্মিতা সরকার বলছিলেন, ‘আমার বাবার কোনো শত্রু নেই। নিরীহ মানুষ। আইন পেশার ফাঁকে যেটুকু সময় পেতেন কবিতা চর্চা করতেন। অথচ এই মানুষটিকে নির্মমভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হলো। কেন তাঁর এই মর্মান্তিক পরিণতি হলো?’চন্দন সরকারের গাড়ির চালক ইব্রাহিমও কোনো দোষ করেননি। তাঁকেও বরণ করতে হয়েছে একই পরিণতি। শীতলক্ষ্যার পাড়ে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে এক আত্মীয় বাড়িতে থাকেন। একেবারেই সহায়সম্বলহীন মানুষ। তাঁর মৃত্যুতে পথে বসেছে পরিবার। লাশ দাফন হয়েছে বৃহস্পতিবারেই। একই প্রশ্ন তাঁর স্বজনদেরও, ‘কেন এই পরিণতি? কী হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ? দেশে কি আইনকানুন বলে কিছু নেই?’ উত্তর নেই, শুধু প্রশ্নের পাহাড়।ফিরছিলাম শীতলক্ষ্যার পাড় দিয়ে। যে শীতলক্ষ্যা নারায়ণগঞ্জ শহরকে দিয়েছে প্রাচ্যের ড্যান্ডির খ্যাতি। দিয়েছে সমৃদ্ধি। এখন তার বুকে ভেসে ওঠে মেধাবী ছাত্র তানভীর মোহাম্মদ ত্বকীর লাশ। হাত-পা বাঁধা নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, চন্দন সরকার, ইব্রাহীমের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ। নরঘাতকেরা তাকে পরিণত করেছে লাশ গুম করার নিরাপদ ক্ষেত্র।অনিবার্য সত্য হয়ে মৃতদেহগুলো একসময় ভেসে ওঠে। নদীর পাড়ে ভিড় করেন স্বজনহারা মানুষেরা। তাঁদের অশ্রুধারা মিশে যায় শীতলক্ষ্যার স্রোতে। শীতলক্ষ্যা আজ এক অশ্রুনদী। | 70,249 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৫৪ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৫৭ | বিনোদন | 0 | মুরাদের আবৃত্তি আলেখ্য | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/764956 | আরমান পারভেজ মুরাদ অভিনয়শিল্পী। আবৃত্তি ও বিজ্ঞাপনে শোনা যায় তাঁর কণ্ঠ। এবার এই শিল্পী আনছেন একটি আবৃত্তির অ্যালবাম, মুরাদের ভাষায় ‘আবৃত্তি আলেখ্য’। সেটার কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি। ‘হাজার বছরের বাঙালি ও বাংলার যে ইতিহাস, সেই ইতিহাস তুলে ধরেছি অ্যালবামে। যেটা শুরু হয়েছে ব্রিটিশদের শাসনেরও আগে থেকে। তারপর দেশ ভাগ, আমাদের ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের জন্ম, স্বৈরাচার আন্দোলন এবং আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের গল্প বলা হয়েছে কবিতার মাধ্যমে।’জানালেন, মূলত ওই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লেখা কবিদের কবিতা আবৃত্তি করেছেন তিনি। এ জন্য বেছে নিয়েছেন ১৯ জন কবির ২৩টি কবিতা। অ্যালবামটির নাম আমার মাতৃভূমি। এটি প্রকাশ করছে ইমপ্রেস অডিও ভিশন। তবে কবিতাগুলো শুধু আবৃত্তির আলেখ্যতেই বন্দী হচ্ছে না। এটি অলংকরণে সমৃদ্ধ হয়ে এই বইমেলাতে আসছে মলাটে বন্দী হয়ে। বইটি প্রকাশ করছে অনন্যা। কবিতাগুলো প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি বাংলাদেশের সেরা কবিদের কবিতা নিয়েছি। যেমন জসীমউদ্দীন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহসহ জনপ্রিয় সব কবির কবিতা।’ মুরাদ জানালেন, মেলার মাঝামাঝি সময়ে এটি বাজারে আসবে। এরই মধ্যে কণ্ঠ দেওয়ার কাজ শেষ। বই ছাপাও শেষ দিকে। বাকি রয়েছে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি কিছু কাজ।এখানেই শেষ নয়, কবিতাগুলো নিয়ে একটি মঞ্চ প্রযোজনা করা হবে। কবিতার মুহূর্তগুলো ধারণ করা হবে আলো ও নানা ধরনের অনুষঙ্গ দিয়ে। সেটির আয়োজনও চূড়ান্ত পর্যায়ে। তবে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২১ ফেব্রুয়ারি বা মার্চ পর্যন্ত। | 200,508 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১৯ মে ২০১৭, ০০:০৬ | ১৯ মে ২০১৭, ০৯:২৩ | হলিউড | 0 | ৭০-এর জৌলুশ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1185041 | গত বুধবার শুরু হয়ে গেছে ৭০তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবে দেখানো ছবিগুলো নিয়ে যেমন সবার আকর্ষণ রয়েছে, তেমনি সেই ছবিগুলোর প্রদর্শনীর আগে লালগালিচা পর্ব নিয়েও উত্তেজনার কমতি নেই। কানের জৌলুশ দেখতে পাওয়া যায় এই লালগালিচা পর্বে। উৎসবের উদ্বোধনী ছবি ইজমায়েলস ঘোস্ট-এর প্রদর্শনীতে লালগালিচা পর্বের কিছু ছবি থাকছে আজ।বলিউডের অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন কান উৎসবের অন্যতম স্পনসর প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ল’রেল-এর প্রতিনিধি হিসেবে গত বুধবার রাতে হাঁটলেন কান উৎসবের রেড কার্পেটে। তিনি গিয়েছিলেন উদ্বোধনী ছবি ইজমায়েলস ঘোস্ট দেখতেছবি: সংগৃহীতভারত থেকে দীপিকা একা নন, উৎসবের প্রথম দিন লালগালিচায় দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডের আরেক অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতউৎসবের প্রথম দিন লালগালিচায় হেঁটেছেন এলে ফ্যানিং। তিনিও উদ্বোধনী ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন। এবারের উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে তাঁর ছবি দ্য বিগাইল্ডও রয়েছে। সেই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন নিকোল কিডম্যানের সঙ্গেআঁ সার্তেন রিগার্দ (অন্য দৃষ্টিকোণ) বিভাগের জুরি উমা থারম্যান হাঁটেন লালগালিচায়ছবি: এএফপি | 318,371 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৩ | ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:১৪ | সরকার,মন্ত্রিসভা,বেতন ভাতা | null | মন্ত্রীরা যেসব সুবিধা পান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1573820 | বেতনভাতা ও অন্যান্য সুবিধা আইন দ্বারা নির্ধারিতপ্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকাএকজন মন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ৫ হাজার টাকাএকজন প্রতিমন্ত্রীর বেতন মাসে ৯২ হাজার টাকাএকজন উপমন্ত্রীর বেতন ৮৬ হাজার ৫০০ টাকাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। মন্ত্রীরা পান ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, প্রতিমন্ত্রীরা ৯২ হাজার টাকা এবং উপমন্ত্রীরা ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা করে বেতন পান। বেতনের বাইরেও তাঁরা নানা ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুবিধা আইন দ্বারা নির্ধারিত।দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রীর জন্য সরকারি বাসভবন (গণভবন) রয়েছে। সে ভবনের আসবাব এবং রক্ষণাবেক্ষণ সব হবে সরকারি খরচে। যদি প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবনে থাকতে না চান, তিনি নিজের বাসা বা ভাড়া বাসায়ও থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তিনি বাসা ভাড়া বাবদ মাসে ১ লাখ টাকা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী সারা বছরের বিনোদনে খরচ হওয়া ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে পাবেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণভাতা এবং দেশে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসুবিধা পান। প্রধানমন্ত্রী ভ্রমণে থাকা অবস্থায় দৈনিক ৩ হাজার টাকা করে ভাতা পান।মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের বেতনভাতামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীরা কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন, তা নির্ধারণ করা আছে ‘দ্য মিনিস্টার্স, মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টার্স (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অ্যাক্ট’-এ। একজন মন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীর বেতন মাসে ৯২ হাজার টাকা এবং উপমন্ত্রীর বেতন ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। তাঁদের বেতনের টাকা করমুক্ত। এ ছাড়া একজন মন্ত্রী মাসিক ১০ হাজার টাকা, প্রতিমন্ত্রী ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং উপমন্ত্রী ৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীরা সরকারি খরচে একটি করে গাড়ি পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া একটি জিপও পেয়ে থাকেন অফিশিয়াল কাজে বিশেষত ঢাকার বাইরে ব্যবহারের জন্য। এই গাড়ি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, অধিদপ্তর সরবরাহ করে থাকে। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীরা সরকারি বাসভবন পান। মন্ত্রীরা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার আসবাব, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা ৪ লাখ টাকার আসবাব পেয়ে থাকেন।তবে সরকারি বাসভবনে না থাকলে একজন মন্ত্রী মাসে ৮০ হাজার টাকা এবং প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী ৭০ হাজার টাকা করে মাসিক বাসাভাড়া পাবেন। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোনসহ বিভিন্ন পরিষেবা বিলও সরকার পরিশোধ করবে। আবার যদি এমন বাসায় থাকেন যেখানে গৃহ নিরাপত্তারক্ষীদের থাকার ব্যবস্থা নেই, সেখানে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে সাময়িকভাবে ছাউনি বা শেড করে দেবে সরকার।দেশের ভেতরে প্লেন, ট্রেন ও লঞ্চে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীরা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিমানে ভ্রমণের জন্য তাঁরা পান বার্ষিক ৮ লাখ টাকার বিমা সুবিধা। দেশের বাইরে অফিশিয়াল ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় বহন করবে। ভ্রমণের ক্ষেত্রে সদর দপ্তরের বাইরে অবস্থান করলে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী প্রতিদিন ২ হাজার টাকা করে এবং উপমন্ত্রী দেড় হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে থাকেন।একজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী তাঁর নিজের পছন্দ অনুযায়ী উপসচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, সহকারী সচিব বা জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং সরকারি কর্মকর্তার বাইরে নিজের পছন্দের একজন সহকারী একান্ত সচিব পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া দুজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন জমাদার, একজন আর্দালি, দুজন এমএলএসএস ও একজন পাচক পেয়ে থাকেন।একজন উপমন্ত্রী পেয়ে থাকেন একজন একান্ত সচিব, একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন জমাদার, একজন আর্দালি ও একজন এমএলএসএস।একজন মন্ত্রীর বাসভবনে সরকারি খরচে একটি করে টেলিফোন থাকবে। এ ছাড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা অফিস ও সরকারি বাসভবনে ইন্টারনেট সুবিধা ও মোবাইল ফোন পেয়ে থাকেন।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান, তা খুব বেশি না। আবার আর্থসামাজিক বাস্তবতা বিবেচনায় খুব কমও না। তবে সরকারি অর্থের যাতে অপচয় না হয়, সেটা দেখা সবার দায়িত্ব। এ বিষয়ে মন্ত্রীরা যত্নবান হবেন—এটাই প্রত্যাশা। | 386,478 |
মেহেরপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ আগস্ট ২০১৩, ০১:২৫ | ১৫ আগস্ট ২০১৩, ০১:২৭ | মেহেরপুর,গাংনী,খুলনা বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | null | তরুণ নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/38622 | মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া সড়কে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইমন আলী (২৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ট্রলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহত ব্যক্তির বাড়ি গাংনী পৌরসভার বাজার পাড়ায়। নিহত ইমন আলীর বাবা শহরের এসএম প্লাজার মালিক ও ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ইমনকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তাঁর মৃত্যু হয়। গাংনী থানার ওসি মাসুদুল আলম জানান, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মরদেহ ময়নাতদন্তের পর গতকাল বুধবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। | 9,455 |
-1 | education | শিক্ষা | ৩১ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৫ | ৩১ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৫ | পড়াশোনা | 0 | জে এস সি প রী ক্ষা: বি শে ষ ম ডে ল টে ষ্ট-৪ | http://www.prothom-alo.com/education/article/61213 | বাংলা ২য় পত্র (বহুনির্বাচনি)নম্বর: ২০, সময়: ২০ মিনিটমডেল টেস্টটি তৈরি করেছেনমো. হুমায়ুন কবীর ১. ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’, এ কথাটি লেখা আছে-ক. বাংলাদেশের ইতিহাসেখ. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসেগ. বাংলা ভাষার ইতিহাসেঘ. বাংলাদেশের সংবিধানে২. ব, ভ ধ্বনিগুলোর উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী নাম কী?ক. কণ্ঠধ্বনি খ. তালব্য ধ্বনিগ. মূর্ধন্য ধ্বনি ঘ. ওষ্ঠ্য ধ্বনি৩. লিঙ্গ, বচন, পুরুষ—এগুলো ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়? ক. ধ্বনিতত্ত্ব খ. শব্দতত্ত্বগ. বাক্যতত্ত্ব ঘ. অর্থতত্ত্ব৪. কোনটি মৌলিক স্বরধ্বনি নয়?ক. অ খ. ই গ. ঈ ঘ. ঐ৫. সাধু ও চলিত ভাষার মূূল পার্থক্য কোন পদে বেশি দেখা যায়?ক. বিশেষ্য ও বিশেষণ খ. ক্রিয়া ও সর্বনাম গ. বিশেষ্য ও ক্রিয়াঘ. বিশেষণ ও ক্রিয়া৬. অভিধানে শব্দের পরে‘বিণ’ থাকলে বোঝা যায় শব্দটি?ক. বিশেষ্য খ. বিশেষণগ. বিকৃত ঘ. বিশেষ৭. অভিধান-এর সমার্থক শব্দ কি? ক. সংবিধান খ. শব্দকোষগ. বই ঘ. সংকলন৮. বিশুদ্ধ বাক্য গঠনের জন্য কয়টি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হয়?ক. ৫টি খ. ৩টি গ. ৪টি ঘ. ৬টি৯. ভাষার বিচারে বাক্যের কোন তিনটি গুণ থাকা চাই?ক. আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতাখ. আসত্তি, আকাঙ্ক্ষা, রীতিসিদ্ধতাগ. আসত্তি, যোগ্যতা, অর্থবাচকতাঘ. অর্থবাচকতা, আকাঙ্ক্ষা, রীতিসিদ্ধতা১০. নাম পুরুষের সম্ভ্রমাত্মক রূপের সর্বনাম? ক. তারা খ. তাঁকেগ. আপনি ঘ. মম১১. বস্তুর ধ্বনির অনুকৃতিতে কোন ধ্বন্যাত্মক শব্দটি গঠিত হয়েছে?ক. চোঁ চোঁ খ. মড়মড়গ. কা কা ঘ. গুণগুণ১২. সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখার জন্য কোন চিহ্ন বসে?ক. কমা খ. সেমিকোলনগ. হাইফেন ঘ. ড্যাস১৩. কোন শব্দে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়? ক. সমাসবদ্ধ শব্দেখ. অব্যয়যুক্ত শব্দেগ. সন্ধিযুক্ত শব্দেঘ. প্রত্যয়যুক্ত শব্দে১৪. প্রযোজক ক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?ক. শিক্ষক ছাত্রদের বাংলা পড়াচ্ছেনখ. মা শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেনগ. সাপুড়ে সাপ খেলায়ঘ. সবগুলো সঠিক১৫. মৌলিক ধাতু বা নামশব্দের সঙ্গে‘আ’ প্রত্যয়যোগে কোন ধাতু গঠিত হয়?ক. সংযোগমূলক ধাতুখ. বিদেশি ধাতুগ. তৎসম ধাতু ঘ. সাধিত ধাতু১৬. ‘সমার্থক’ শব্দযোগে দ্বিরুক্ত হয়েছে কোনটিতে?ক. ভালোমন্দ খ. তোড়জোড়গ. ধন-দৌলত ঘ. আমির-ফকির১৭. ‘তিতাস একটি নদীর নাম।’ বাক্যে‘নদী’ কোন প্রকার বিশেষ্য?ক. নামবাচক খ. জাতিবাচকগ. বস্তুবাচক ঘ. সমষ্টিবাচক১৮. বৃহদার্থে স্ত্রীবাচক প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে কোনটিতে?ক. হিমানী খ. পুস্তিকাগ. অরণ্যানী ঘ. গীতিকা১৯. কোন দ্বিরুক্তিটি অব্যয়বাচক?ক. উড়ু উড়ু খ. কেউ কেউগ. নেই নেই ঘ. মিটির মিটির২০. ‘গঙ্গোর্মি’-র সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?ক. গঙ্গা + উর্মি খ. গঙ্গা + ঊর্মিগ. গঙ্গো + র্মি ঘ. গঙ্গ + ঊর্মি।উত্তর ছাপা হবে আগামীকালজেএসসির বিশেষ মডেল টেস্ট-৩বাংলা ২য়পত্রউত্তর: ১. গ ২. খ ৩. গ ৪. খ ৫. গ ৬. ঘ ৭. ঘ ৮. ক ৯. ক ১০. গ ১১. ঘ ১২. খ ১৩. ক ১৪. খ ১৫. ক ১৬. গ ১৭. খ ১৮. খ ১৯. খ ২০. গ ২১. ক ২২. গ ২৩. ক ২৪. গ ২৫. ক ২৬. গ ২৭. ঘ ২৮. ক ২৯. ঘ ৩০. গ ৩১. ঘ ৩২. ক ৩৩. ক ৩৪. গ ৩৫. গ ৩৬. গ ৩৭. ঘ ৩৮. খ ৩৯. ঘ ৪০. ক। | 24,352 |
কূটনৈতিক প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ মার্চ ২০১৬, ১৬:৪৪ | ০৫ মার্চ ২০১৬, ১৯:২৫ | সরকার | null | তিস্তা চুক্তির বল এখন ভারতের কোর্টে: গওহর রিজভী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/789562 | তিস্তা চুক্তি সই নিয়ে খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তাই এ বিষয়ে নতুন করে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী নয় বাংলাদেশ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এ কথা বলেন।প্রশ্নোত্তর পর্বে গওহর রিজভী বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি সই নিয়ে বল এখন ভারতের কোর্টে। চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। চুক্তিটি নিয়ে নতুন করে কোনো আলোচনা হবে না। ওই খসড়ার ভিত্তিতেই দ্রুত চুক্তি সই হবে বলে আমরা আশা করছি।’দুদিনের এই মৈত্রী সংলাপ যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, দিল্লি। সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। সেমিনারে দুই দেশের রাজনীতিবিদ, কর্মকর্তা ও গবেষকেরা অংশ নিচ্ছেন।গওহর রিজভী সীমান্ত হত্যার ব্যাপারেও তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমলের তুলনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্ত হত্যা কমেছে। কিন্তু তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। কারণ, আমাদের কাছে একটি হত্যা মানেও অনেক কিছু।’সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিতে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, পরিবহন ও জনগণের মেলবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যৎমুখী কর্মকৌশলের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা উচিত। তিনি বলেন, ভারতীয় ঋণ চুক্তির আওতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বেছে নেওয়া উচিত।ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি নৌ, সড়ক, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। আর্থিকভাবে দুই দেশের মধ্যে যে রকম সংযোগ থাকা দরকার সেটি নেই বলেও মনে করেন তিনি। তাই দুই দেশের মধ্যে আর্থিক প্রক্রিয়ায় সমন্বয় বা সংযোগ গড়ে তোলা অপরিহার্য বলে মত দেন সিক্রি। তিনি বলেন, একটি দেশের আপত্তিতে গত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে মোটরযান চুক্তি হয়নি। তাই বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল চারদেশীয় মোটরযান চুক্তি সই করেছে। এটি চার দেশের সঙ্গে এ অঞ্চলের বাইরে বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে। সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার মনে করেন, দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এক সময় পাঁচ বছরের জন্য সার্ক ভিসা দেওয়া হতো। ভারত তা কমিয়ে এখন তিন মাস করেছে। এই তিন মাসের জন্য ভিসা নেওয়াটা পাসপোর্টের পাতা নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু দেখি না। আমার মতে বিবিআইএন ভিসা চালু করা উচিত। তবেই বিবিআইএনের সুফল পাওয়া যাবে। | 207,749 |
জোসেফ ই স্টিগলিৎস | opinion | মতামত | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৪৬ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৪৯ | ভূরাজনীতি,জোসেফ ই. স্টিগলিৎস,মতামত,লেখকের কলাম,আন্তর্জাতিক | 0 | শ্রীলঙ্কার পুনর্জন্ম | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/751288 | ২০০৯ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার বেশ ভালো অগ্রগতি হয়েছে, সে জন্য তার প্রশংসা প্রাপ্য। তখন থেকে তার জিডিপি প্রতিবছর ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বেড়েছে, আর তার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের পরিসংখ্যানও বেশ চিত্তাকর্ষক।সব উন্নয়নশীল দেশই নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়, কিন্তু যে দেশটি ৩০ বছর ধরে মারাত্মক গৃহযুদ্ধের কারণে জেরবার হয়েছে, সে দেশটির জন্য এটা বিশেষভাবে সত্য। সরকারকে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে, কিন্তু সফলতার জন্য সমন্বিত মনোভঙ্গি দরকার।সব যুদ্ধের পেছনেই কিছু কারণ থাকে, তেমনি তামিল টাইগারদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের যে যুদ্ধ হয়েছে, তার পেছনেও কিছু বৈশিষ্ট্যসূচক কারণ রয়েছে: সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুঃখ-দুর্দশা, বাস্তব বা অনুমিত বৈষম্য, আর সম্পদ ও আয়বৈষম্য আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা। ফলে শ্রীলঙ্কায় শুধু মধ্যবর্তী সময়ের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করলেই চলবে না (আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে কলাম্বিয়া, যেখানে ফার্ক গেরিলাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে)। এখন প্রয়োজন হচ্ছে, তামিলদের শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পূর্ণাঙ্গভাবে আত্তীকরণ করা, দেশটির সংখ্যালঘু তামিলদের মনে নানারকম তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে।বাজার নিজে থেকে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে না। শ্রীলঙ্কার জন্য ভারসাম্যপূর্ণ ও ইতিবাচক কর্মোদ্যোগ দরকার, যার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক অসমতার নানা মাত্রা ও তামিলদের সঙ্গে যে বৈষম্য করা হয়েছে, তা আমলে নেওয়া যাবে। আর সরকার যদি দরিদ্র ও নিম্নবর্ণের তামিলদের অন্ধকারে রেখে ধনী তামিলদের সুবিধা দেয়, তাহলে সেটা তেমন কাজে আসবে না।দেশটির সরকার যদি উত্তরাঞ্চলের তামিল অঞ্চলকে মূল ধারায় যুক্ত করতে চায়, তাহলে তাকে অবকাঠামো, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ করতে হবে। সম্ভবত, সারা দেশের জন্যই তেমন বিনিয়োগ দরকার। আর শ্রীলঙ্কার রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত এখনো ১১ দশমিক ৬ শতাংশের মতো, যেটা ব্রাজিলের এক-তৃতীয়াংশের মতো।অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো শ্রীলঙ্কাও সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যের উচ্চমূল্যের সুফল ভোগ করছে (দেশটির রপ্তানির ২২ শতাংশ আসে চা ও রাবার থেকে)। এই উচ্চমূল্যকে ব্যবহার করে শ্রীলঙ্কার উচিত হবে তার রপ্তানির পণ্যসম্ভারকে আরও সমৃদ্ধ করা, রাজাপক্ষের সরকার যে কাজটি করেনি। অন্যদিকে রপ্তানিমূল্য কমে যাওয়া এবং বৈশ্বিক মন্দার কারণে পর্যটনে মন্দা আসার আশঙ্কা থাকায় দেশটির ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি সৃষ্টি হলো বলে।অনেকেই শ্রীলঙ্কাকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যেটা করলে তাকে ব্যয় কমাতে হবে। কিন্তু সেটা অত্যন্ত অজনপ্রিয় কাজ হবে। অনেক দেশই আইএমএফের ঋণ নিয়ে অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। এর পাশাপাশি, আইএমএফ শ্রীলঙ্কার সরকারকে নিশ্চিতভাবেই বলবে যে তারা খুবই কম কর সংগ্রহ করছে, তবে আইএমএফ এটা বলবে না যে তারা বেশি খরচ করছে।শ্রীলঙ্কা দেশটি সুন্দর, অবস্থানগত দিক থেকেও সে আদর্শ জায়গায় আছে, ভারত মহাসাগরে। পৃথিবীর এই অংশটা ভূরাজনৈতিক দিকে থেকে টালমাটাল অবস্থায় আছে, ফলে শ্রীলঙ্কা একটি আর্থিক কেন্দ্র ও বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে। কিন্তু বাজারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করলে তা হবে নাসৌভাগ্যবশত, শ্রীলঙ্কার সরকার অনেক ধরনের করই আরোপ করতে পারে, যার মধ্য দিয়ে দক্ষতা, প্রবৃদ্ধি ও ইকু্যইটি বাড়ানো সম্ভব। শ্রীলঙ্কায় প্রচুর সূর্যালোক ও বায়ু আছে, ফলে কার্বন কর আরোপ করলে রাজস্ব আয় প্রভূত বাড়বে, সমন্বিত চাহিদা বাড়বে, আর দেশটিও সবুজ অর্থনীতির দিকে ধাবিত হবে। অনুক্রমিক হারে সম্পদ কর আরোপ করা হলে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে, ফলে একদিকে যেমন অসমতার রাশ টানা যাবে, অন্যদিকে রাজস্ব আয়ও ব্যাপক হারে বাড়বে। বিলাসদ্রব্যের ওপর কর আরোপ করা হলেও একই লক্ষ্য অর্জিত হবে, যেসব দ্রব্যের বেশির ভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।দেশটিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কম—অনেকেই এই যুক্তি দিয়ে বলেন, করপোরেট কর কমানো উচিত। কিন্তু করে এ রকম ছাড় দেওয়া হলে তা দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারবে না, এই পদক্ষেপ এ ক্ষেত্রে আপেক্ষিকভাবে অকার্যকর। ফলে কর কমানো হলে তা শ্রীলঙ্কার ইতিমধ্যে দুর্বল হয়ে যাওয়া কর ভিত্তিকে আরও দুর্বল করে দেবে।একইভাবে, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের কথা যেমন প্রায়ই বলা হয়, সেটাও হয়তো তেমন একটা কার্যকর হবে না। এসব উদ্যোগে সরকারকেই সাধারণত ঝুঁকি বহন করতে হয়, আর লাভের গুড় খায় বেসরকারি খাত। সাধারণত, এর মাধ্যমে যে পুঁজি সংগৃহীত হয়, তার অপরচুনিটি কস্ট অনেক বেশি। বেসরকারি খাত তো দেউলিয়াত্বের বাহানায় যখন-তখন চুক্তি ভঙ্গ করতে পারে বা তার হুমকি দিতে পারে, কিন্তু সরকার তো সেটা করতে পারে না, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে।২১ শতকের উন্নয়নের জন্য ভিন্ন কৌশল নিতে হবে। শিক্ষণ হবে এই উন্নয়নের ভিত্তি, উৎপাদন ও রপ্তানি করতে এবং শেখাটা শিখতে হবে। একটা ধাপ পেরিয়ে আরেক ধাপে চলে যাওয়া যেতে পারে। শ্রীলঙ্কার বেলায় কিছু নিম্ন দক্ষতার উৎপাদন যেমন, গার্মেন্টস থেকে সীমিত আয় হতে পারে। শিক্ষার মানের বিবেচনায় শ্রীলঙ্কা সরাসরি প্রাযুক্তিকভাবে উন্নততর পর্যায়ে ও উচ্চ ফলনশীল জৈব চাষাবাদের দিকে যেতে পারে, একই সঙ্গে তারা উচ্চ মুনাফার পর্যটনের দিকেও ধাবিত হতে পারে।কিন্তু তারা যদি এসব নীতি বাস্তবায়ন করতে যায়, তাহলে তাদের পুরো দ্বীপের জন্যই উন্নত পরিবেশ নীতি গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য পরিপূর্ণ নগর পরিকল্পনা করতে হবে। আজ দেশটিতে নগরায়ণের মাত্রা কম বলে তাকে ভাগ্যবান বলা যায়, কিন্তু আগামী দুই দশকে তার চিত্র পাল্টে যেতে পারে। ফলে সে আদর্শ শহর নির্মাণের সুযোগ পাবে, যার ভিত্তি হবে পর্যাপ্ত গণ-সেবা, যেটা কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।শ্রীলঙ্কা দেশটি সুন্দর, অবস্থানগত দিক থেকেও সে আদর্শ জায়গায় আছে, ভারত মহাসাগরে। পৃথিবীর এই অংশটা ভূরাজনৈতিক দিকে থেকে টালমাটাল অবস্থায় আছে, ফলে শ্রীলঙ্কা একটি আর্থিক কেন্দ্র ও বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে। কিন্তু বাজারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করলে তা হবে না, আবার জনকল্যাণমূলক কাজেও কম বিনিয়োগ করলে চলবে না। সৌভাগ্যবশত, দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে, ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে আছে।স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধনজোসেফ ই স্টিগলিৎস: নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ। | 196,127 |
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:১৭ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:১৮ | টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ | 0 | দুর্বৃত্তকে প্রশ্রয় দিলে সেই দুর্বৃত্ত কাউকে ছাড়বে না | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/309586 | সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘আজকে যারা লোভী তারাই হিন্দুদের জমি দখলের চেষ্টা করছে। দুর্বৃত্তকে প্রশ্রয় দিলে সেই দুর্বৃত্ত আমাদের কাউকে ছাড়বে না।’গতকাল বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ফলদায় মন্দির ও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার এলাকা পরিদর্শন করেন সুলতানা কামাল।পরে ফলদা কালীমন্দির প্রাঙ্গণে এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। | 90,406 |
-1 | sports | খেলা | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৫১ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৫১ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | রেফারি ‘বিশ্রামে’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/51094 | প্রতিপক্ষ বার্সেলোনার অনেকেই বলছেন, সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল না। বার্সেলোনা রিয়াল মাদ্রিদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, সুতরাং ওই শিবির থেকে এমন প্রতিক্রিয়া আসতেই পারে। তবে গত বুধবার রাতে রিয়াল-এলচে ম্যাচে রিয়ালের পক্ষে শেষ মুহূর্তে রেফারির দেওয়া পেনাল্টিটা যে ভুল ছিল, সেটা স্বীকার করেছেন স্পেনের রেফারি কমিটির প্রধান সানচেজ আরমিনিও। বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্তের জন্য রেফারি মুনিজ ফার্নান্দেজকে লা লিগার পরের দুই রাউন্ডের জন্য বিশ্রাম দিয়েছে রেফারি কমিটি। রয়টার্স। | 20,149 |
-1 | sports | খেলা | ১১ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৪ | ১১ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | বার্সেলোনার বিদায় | http://www.prothom-alo.com/sports/article/190072 | চাইলে ডিয়েগো সিমিওনে এখন একটা বই লিখতে পারেন। সে বইয়ের নাম হতে পারে—‘বার্সেলোনার কাছে না হারার গোপন সূত্র’ অথবা ‘মেসিকে আটকানোর কৌশল।’ দেশে আর ইউরোপে মিলিয়ে এই মৌসুমে পাঁচবার বার্সেলোনার সঙ্গে দেখা হয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। সিমিওনের দল হারেনি একবারও, উল্টো জিতল এবার। দুই দলের সর্বশেষ ছয় ম্যাচের একটিতেও গোল করতে পারেননি লিওনেল মেসি!এই মৌসুমে কখনো হারাতে পারেনি বলে হয়তো অল্পবিস্তর আফসোস ছিল, তবে খুব বড় মূল্য এর আগে দিতে হয়নি বার্সেলোনাকে। দিতে হলো পরশু রাতে। অ্যাটলেটিকোর কাছে একমাত্র হারটাই বার্সেলোনা সমর্থকদের হূদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাল। ফিরতি লেগে কোকের একমাত্র গোলে পাওয়া জয়, দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে ৪০ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ছয় বার সেমিফাইনাল খেলা বার্সেলোনার এবারের পথচলা থেমে গেল কোয়ার্টার ফাইনালেই।মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতেও রক্তক্ষরণ হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকদেরও। প্রথম লেগের মতো ফিরতি লেগেও বায়ার্ন মিউনিখের জালে প্রথমে গোল দিয়ে ইউনাইটেড জ্বালিয়েছিল আশার প্রদীপ। ৫৭ মিনিটে প্যাট্রিস এভরার দুর্দান্ত শটে এগিয়ে গিয়ে মনে করিয়ে দিচ্ছিল আগের রাতে আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসির দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্পটা। কিন্তু দুই মিনিটের মধ্যে মারিও মানজুকিচের সমতা ফেরানো গোল, তারপর টমাস মুলারের ও আরিয়েন রোবেনের আরও দুই গোলে বায়ার্ন শেষ পর্যন্ত জিতল ৩-১ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে জিতে শেষ চারের টিকিট পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।বার্সেলোনার হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে স্প্যানিশ একটা টেলিভিশন চমকপ্রদ পরিসংখ্যান দিয়েছে। পরশু পুরো ম্যাচে মেসি দৌড়েছেন ৬.৮ কিলোমিটার, বার্সেলোনার ৩৯ বছর বয়সী গোলরক্ষক পিন্টোর চেয়ে মাত্র ১.৫ কিলোমিটার বেশি! বোঝাই যাচ্ছে মেসিকে কতটা কড়া পাহারায় রেখেছিলেন সিমিওনের ছাত্ররা। গোল করার দুটি খুব ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন প্রথমার্ধে, কিন্তু দুবারই ব্যর্থ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড! এদিকে তিনি দলের সেরা খেলোয়াড় হয়েও কিছুই করতে পারেননি, ওদিকে অ্যাটলেটিকো জিতল তাদের সেরা খেলোয়াড় ডিয়েগো কস্তাকে ছাড়াই। তবে বার্সেলোনা কোচ জেরার্ডো মার্টিনো মেসির ব্যর্থতা নয়, বড় করে দেখছেন অ্যাটলেটিকোর কৃতিত্বই, ‘আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছি ওরা সেভাবে খেলতে দেয়নি। আমরা টানা চার-পাঁচটা পাস দিতে পারছিলাম না। সাধারণত আমরা বলের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলি, আজ সেটা করতে পারিনি।’ বার্সেলোনাকে টিকি-টাকা খেলতে না দেওয়াটা সাফল্যের একটা কারণ বলে মনে করেন সিমিওনেও। তবে জয়ে সমর্থকদের অবদানকেও স্বীকৃতি দিচ্ছেন, ‘আজ গ্যালারিটাও দুর্দান্ত ছিল। বার্সেলোনার জন্য হয়তো এটা কিছুই না, কারণ ওরা এ রকম পরিবেশ দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়েরা এ থেকে দারুণ উৎসাহ পেয়েছে।’ ভবিষ্যতেও তাই সমর্থকদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার আশ্বাস দিলেন ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা কোকে, ‘আমাদের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। আমরা সমর্থকদের স্বপ্ন দেখিয়ে যেতে চাই।’প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন দেখছে বায়ার্নও। সে পথে আরেকটু এগিয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বায়ার্ন কোচ পেপ গার্দিওলা, ‘আমি আমার দল নিয়ে গর্বিত। আজ ছেলেরা হূদয় দিয়ে খেলেছে। যোগ্য দল হিসেবেই তারা সেমিফাইনালে উঠেছে।’ কৃতিত্বটা বায়ার্নকে দিতে ভোলেননি ইউনাইটেড কোচ ডেভিড ময়েসও। তাই বলে নিজের ছাত্রদের নিয়ে একেবারে হতাশ নন তিনি, ‘বায়ার্নের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। তারা দারুণ দল। তবে আমরাও খুবই ভালো খেলেছি এবং আমাদের সামর্থ্য দেখিয়েছি।’ ওয়েবসাইট। | 65,035 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২০ জুলাই ২০১৭, ১৫:৫২ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৮ | ক্রিকেট,স্পট ফিক্সিং,আইপিএল | null | মিউনিখ ট্র্যাজেডির সঙ্গে স্পট ফিক্সিং করা দলের তুলনা অশ্বিনের! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1258916 | দুই বছর পর আবারও আইপিএলে ফিরছে চেন্নাই সুপার কিংস। নিজের প্রিয় দলের প্রত্যাবর্তনে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতেই পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু আবেগের পালে হাওয়া একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছেন অশ্বিন। সিএসকের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে টেনে এনেছেন মিউনিখ ট্র্যাজেডির ঘটনাকে। ফলে অবশ্যম্ভাবী ঘটনাটিই ঘটেছে, সমালোচনার ঝড় বইছে অশ্বিনকে নিয়ে।১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মিউনিখে ইউরোপিয়ান কাপের ম্যাচ খেলে ফিরে আসার পথে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন আটজন ইউনাইটেড খেলোয়াড়। সব মিলিয়ে ২৩ জনের মৃত্যু ঘটে সেদিন। স্যার ম্যাট বাসবির তরুণ ‘বাসবি বেইবস’খ্যাত দলটির এমন ঘটনা ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম শোকের দিন হিসেবে মনে করা হয়।আর আইপিএলে চেন্নাই দল গত দুই বছর অনুপস্থিত ছিল। স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ পাতানোর মতো জঘন্য অভিযোগেই এ শাস্তি জুটেছিল তাদের। তাই তাদের এমন প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকেরই। অশ্বিন সে দলে নেই। এ দলে খেলেই তো ক্যারিয়ারের তুঙ্গে পৌঁছেছেন এই অফ স্পিনার। তাই আবেগে ভেসে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, দুই বছরের এই ধাক্কা সিএসকের মূল্য আরও বাড়িয়ে দেবে, বিমান দুর্ঘটনার পর যেমন ইউনাইটেডের বেড়েছিল!’ এরপর নিজেই ব্যাপারটা একটু গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করেছেন, ‘আমি জানি না দুটি একই মাপের কি না, তবে চেন্নাই ও পৃথিবীর অনেক লোক সুপারকিংসের অপেক্ষায় আছে। আমি আশা করছি, এটা দারুণ প্রত্যাবর্তন হবে।’ ভক্ত-সমর্থকদের খেপিয়ে তুলতে এর চেয়ে আর বেশি কিছুর দরকার ছিল না। মিউনিখ ট্র্যাজেডির গল্প শুনে বড় হয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এ গল্প মানুষকে যেমন শোকাহত করে, তেমনি আবার ফিরে আসার অনুপ্রেরণা দেয়। ১০ বছর পর ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা ববি চার্লটন ও বিল ফকসের ইউরোপিয়ান কাপ জয় তো শুধু ইউনাইটেডের জয় নয়, ফুটবলের জয় হিসেবে দেখা হয়। এ ঘটনায় ইউনাইটেডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ঠিকই, তাই বলে সে ঘটনার সঙ্গে কলুষিত এক দলকে টেনে আনা! অনেকেই বলেছেন, জুভেন্টাসের সঙ্গে তুলনা টানলেও ব্যাপারটা মেনে নেওয়া যেত, কারণ দুই দলই ম্যাচ পাতানোর কারণে নিষিদ্ধ হয়ে তারপর প্রত্যাবর্তন করেছে। কিন্তু ইউনাইটেডকে টেনে সিএসকেকে বড় করার এমন চেষ্টা হাস্যকর। অনেক সমর্থক তো অশ্বিনের বুদ্ধিমত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। পরিস্থিতি এতটাই বাজে রূপ নিয়েছে, অশ্বিনকে টুইটারের সাহায্য নিতে হয়েছে, ‘সবাই মিউনিখ ট্র্যাজেডি ও সিএসকের প্রতিবেদন ভিন্নভাবে নিচ্ছেন। আমি শুধু বলেছি, এ বিরতি সমর্থকদের আরও বেশি করে ফিরিয়ে আনবে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।’ সূত্র : ক্রিকইনফো। | 327,429 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:০২ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:০৪ | বলিউড | null | ট্রেনে নায়িকার শ্লীলতাহানি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1422976 | • চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন সনুশা সন্তোষ। • ঘটনাটি ঘটেছে মাভেলি এক্সপ্রেসে।• অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ।মাত্র এক দিন আগেই দক্ষিণী নায়িকা অমলা পালকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে। আজ শুক্রবার আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এবার চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন মালায়লম ছবির নায়িকা সনুশা সন্তোষ। তবে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ।এনডি টিভি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মাভেলি এক্সপ্রেসে। মেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল থেকে তিরুভানান্তপুরম যাচ্ছিল ট্রেনটি। রাতে কন্নুর স্টেশন থেকে এই ট্রেনে ওঠেন সনুশা। রাতের ট্রেনে উঠেই নিজের আপার বার্থে ঘুমিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরই তিনি বুঝতে পারেন, কেউ তাঁকে জ্বালাতন করছে, তাঁর দেহে অন্য কোনো হাতের ছোঁয়া অনুভব করেন। তিনি ওই ব্যক্তির হাত চেপে ধরেন এবং আলো জ্বালিয়ে দেন। এই নায়িকার সঙ্গে থাকা ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উন্নি ও রঞ্জিত টিকিট পরীক্ষককে ডাকতে চলে যান। ততক্ষণ ওই ব্যক্তির হাত ধরে রাখেন সনুশা। টিকিট পরীক্ষক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পরবর্তী স্টেশনের রেল পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।২৩ বছর বয়সী সনুশা সন্তোষ দাবি করেন, এ ঘটনার সময় তিনি চিত্কার করেছেন। কিন্তু তাঁকে সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। এমনকি নিচের বার্থে শুয়ে থাকা ব্যক্তিও কোনো সাড়া দেননি।অভিযুক্ত এই ব্যক্তির নাম অন্তো বসু। তিনি তামিলনাড়ুর তিরুভানান্তপুরমের বাসিন্দা। ওই ট্রেনে তিরুভানান্তপুরম যাচ্ছিলেন তিনি। শ্লীলতাহানির অভিযোগে আজ শুক্রবার অন্তো বসুকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। | 353,566 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৩৩ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৩৪ | -1 | 0 | টি এম মেহেদী মাসুদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/47676 | সাংবাদিক টি এম মেহেদী মাসুদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৬ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে বাগেরহাটের মোল্লারহাটে ও মাদারীপুরের শিবচর রাজারচরে দুটি মাদ্রাসায় কোরআন খতম ও মিলাদ এবং রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি। | 17,014 |
-1 | sports | খেলা | ২৩ আগস্ট ২০১৫, ০২:৩০ | ২৩ আগস্ট ২০১৫, ০২:৩১ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | রবিনহোর গোল | http://www.prothom-alo.com/sports/article/610240 | চীনা ক্লাব গুয়াংজু এভারগ্রান্ডের হয়ে প্রথম চার ম্যাচে ছিলেন অনুজ্জ্বল। অবশেষে পঞ্চম ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রবিনহো। একটি নয়, বরং চীনা ফুটবলে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা খাতা খুললেন জোড়া গোলে। পরশু চায়নিজ সুপার লিগের দল সাংহাই শেনজিনের বিপক্ষে রবিনহোর জোড়া গোলেই ৪-২ ব্যবধানে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে গুয়াংজু। রয়টার্স। | 162,256 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ নভেম্বর ২০১৩, ০২:২২ | ২২ নভেম্বর ২০১৩, ০২:২৩ | রাজনীতি | 0 | তৃতীয় রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টির আহ্বান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/79777 | দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার কাছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ নিরাপদ নয়। তাঁদের এই দুজনের দুই ধারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তাই তৃতীয় ধারা সৃষ্টি করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।‘বর্তমান অবস্থাই প্রমাণ করে দুই নেত্রীর হাতে দেশ নিরাপদ নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা দেশের বর্তমান সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সাহসী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি বলছেন তাঁর কাছে কোনো ক্ষমতা নেই। দুই নেত্রী ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাঁর ক্ষমতাকে সীমিত করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি যদি দুই নেত্রীকে চায়ের দাওয়াত দেন তাহলে তো কেউ তাঁকে বাধা দেবে না।মান্না আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে দেশে নির্বাচন নিয়ে একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তখনকার রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস দুই নেত্রীকে ডেকে আলোচনা করেছিলেন।সভায় প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বলেন, দুই নেত্রী আলোচনা করলেই বা সরে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। পদ্ধতিগত সমস্যা কিন্তু এতে রয়েই যাবে। নাগরিক ঐক্যের পক্ষে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদ জামাল কাদেরী সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দেশের ভেতর কৃষক, শ্রমিক ও উদ্যোক্তা শ্রেণী অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতি যদি অর্থনীতির চালিকাশক্তি না হয়ে হীন স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহূত হয়, তবে রাজনীতির ওপর আস্থা না থাকা স্বাভাবিক। একমাত্র নতুন রাজনৈতিক শক্তি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে।নাগরিক ঐক্য ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ এস এম আকরাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনজুর চৌধুরী। | 29,866 |
ফেরদৌসী বেগম | opinion | মতামত | ০২ আগস্ট ২০১৩, ০০:৩৭ | ০২ আগস্ট ২০১৩, ০০:৪২ | মতামত,লেখকের কলাম,ফেরদৌসী বেগম | null | জটে-জ্যামে অচল জীবন | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/33304 | নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক ছিল ১০ জুলাই, বেলা তিনটার সময়, গুলশানে, তাঁর অফিসে। আমি আসাদগেটের বাসা থেকে রওনা দিলাম বেলা একটা ১৫ মিনিটে। লেক রোডটি বন্ধ (মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে বন্ধ থাকে), প্রথমে হোঁচট খেলাম, ভেতরের রাস্তা ধরে যখন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কাছে এলাম, তখন দুইটা ৩০ বাজে। আমি তো নার্ভাস হয়ে গেলাম, যে রাস্তা দিয়ে ১৫ মিনিটের কম সময়ে যাওয়া যায়, সেখানে তিন ঘণ্টা লাগবে, এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। যা হোক, মিটিং হলো ৩০ মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট। আরেক শুক্রবার গুলশানে আড়ংয়ের সামনে দিয়ে হাতিরঝিলের রাস্তা ধরে সোনারগাঁওয়ের সামনে দিয়ে এসে পান্থপথ দিয়ে আসাদগেটে আসব। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রওনা দিয়ে রাত সাড়ে নয়টায় বাসায় এলাম। যাওয়ার সময় লেগেছিল মাত্র ১৫ মিনিট।যাব এফবিসিসিআইয়ে, মিটিংয়ে। আসাদগেট থেকে রওনা দিলাম বৃহস্পতিবার দিন, যেতে লাগল দুই ঘণ্টা আর আসতে তিন ঘণ্টা। বাসায় আমার ছেলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অনার্স পড়ছে, শেষ বর্ষে। আমার ছেলের কাছে জার্মানির এক মেয়ে এসেছে। নাম কালটেরিন। আমি এনসিসি ব্যাংকের হেড অফিসে যাব। তাকে বললাম, চলো, আমাদের কমার্শিয়াল এলাকা দেখবে। ধানমন্ডি ১৫ নম্বরে একটা কাজ সেরে ওকে নিয়ে মতিঝিলে আসতে আমাদের দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লাগল। ও তো অস্থির। ও পড়ছে Netherlands Mustich University-তে। বাড়ি জার্মানির মিউনিখে। ওর যেতে লাগে ট্রেনে করে মাত্র তিন ঘণ্টা।এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কালটেরিন তো খেপে আগুন। বলল, ‘তোমরা সিনিয়ররা করছটা কী এত বছরে? তোমাদের জেনারেশন তো শেষ হয়ে যাবে এই জ্যামে, এখানে কোনো ইনভেস্টর আসবে না, কোনো টুরিস্ট আসবে না, আর যারা এখানে আছে, তারাও কাজ করতে পারবে না। আমি ভাবতে পারছি না আমার পাশে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে সাইরেন বাজাচ্ছিল, তোমাদের ইমার্জেন্সি রোডে অ্যাক্সিডেন্ট করলে গাড়ি সরাবে কে, ফায়ার হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাবে কী করে।’ নুরুল আমিন সাহেব কিছুই বললেন না। কারণ, বারিধারা থেকে আসতে তাঁরও দুই ঘণ্টা সময় লাগে।কালটেরিন বলবে কী; আমার প্রতিদিন রাস্তায় জ্যামে কাটে পাঁচ ঘণ্টা। বাবার বাসা ধলপুরে। আমি আসাদগেট থেকে ওই বাসায় যাই রাত ১১টার পরে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার বাদ দিয়ে যাই। ফিরি রাত দুইটার দিকে, ফেরার সময় মাত্র ২১-২২ মিনিট সময় লাগে।আমার অফিস, ল্যাবরেটরি সাভার ইপিজেডে। সেখানে আমার যেতে লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা ও আসতে লাগে চার ঘণ্টা। ধানমন্ডি অফিস থাকতে বাসা থেকে অফিসে হেঁটে গেলে মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা। কিন্তু গাড়ি দিয়ে যেতে লাগে এক ঘণ্টা।ধানমন্ডি, গুলশানকে ঢাকা শহরে ফ্ল্যাটের বস্তি বলা চলে। দিনে স্কুল, ইউনিভার্সিটি, দোকানপাট, হাসপাতাল আর রাতে সব ডাক্তারের রোগী দেখা আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, কোনো এলাকায় শান্তি নেই। সাভার ইপিজেডের কাছে অফিস। প্রথম যখন ল্যাবরেটরি করি তখন সর্বোচ্চ ৫০ মিনিট যেতে সময় লাগত। এখন তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগে। আমি দুই ঘণ্টা অফিস করে ওখানেই থেকে যাই।এই জ্যামে আমার প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে যায়, দুই ঘণ্টাও অফিশিয়াল কাজ করতে পারি না। আমার বয়স এখন ৫১ বছর। জীবনের প্রথম ইউনিভার্সিটি সেশন জটে পাঁচটি বছর খেয়ে ফেলল (’৭৯-৮৮), সেখানে ২৪ বছরে জীবন শুরু করার কথা, সেখানে ৩০ বছর বয়সে কর্মক্ষেত্রে এলাম, জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় চলে গেল। আবার পিএইচডি করে যখন কাজ শুরু করলাম তখন ৩৪ বছর। আমি মাত্র ১৭-১৮ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সুতরাং আমার ৩০ বছর সবচেয়ে বেশি কর্মের সময়ে আমি কাজ করার সুযোগ পেলাম মাত্র ১০ বছর (ঘুমের সময় বাদ দিয়ে)।আমি যদি হিসাব করি, আসলে পুরো ১০ বছরও আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন দিনের বেলায় চার-পাঁচ ঘণ্টা ইলেকট্রিসিটি থাকে না। আমার ল্যাবরেটরিতে আমি বসে থাকি, জেনারেটর বেশিক্ষণ লোডও নিতে পারে না।আমি দুঃখিত, লজ্জিত, রাগান্বিত হয়ে মাঝেমধ্যে নিজের কপাল চাপড়াই—কেন জন্মালাম এই দেশে? আমি সন্ত্রাস, ছিনতাইয়ের ভয়ে একা হেঁটে বের হতে পারি না। আমি জ্যামের জন্য সময়, তেল, গ্যাস, এনার্জি, কর্মঘণ্টা সব নষ্ট করছি। আমি বিদ্যুতের অভাবে দিনে-রাতে কোনো সময় কাজ করতে পারি না, ঘুমাতে পারি না। আমার কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুমানো দরকার।কিন্তু যতবার বিদ্যুৎ থাকে না, সে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। সকালে ৪০ মিনিট হাঁটার কথা। আমি তাও পারি না। কী করে সম্ভব সকাল-সন্ধ্যায় ছিনতাইয়ের ভয়। ফুটপাত অসম্ভব নোংরা-দুর্গন্ধ অথবা দোকান, নির্মাণসামগ্রী, থুতু-প্রস্রাব—কী-ই বা নেই এখানে।আমাদের আজ এই অবস্থার জন্য দায়ী কে, প্রশ্ন করুন? আমরা নিজেরাই গত ৪২ বছরে, আমরা নিজেরা এমন কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান তৈরি করতে পারিনি যে সারা দেশকে মালয়েশিয়া অথবা কলকাতা বানাবে।আমার পাশে জ্যামের মধ্যে সোনারগাঁও মোড়ে রং সাইড দিয়ে মন্ত্রীদের গাড়ি পুলিশ হুইসেল বাজিয়ে নিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর জন্য রাস্তা আটকে যায়। ভিআইপি পাড়ায় ইলেকট্রিসিটি যায় না। সচিবালয়ে কর্তাব্যক্তিরা আসার এক ঘণ্টা আগে এসি-লাইট সব ছেড়ে রাখা হয়। তিনি এয়ারকন্ডিশন গাড়ি থেকে নেমেই যেন এয়ারকন্ডিশন অফিসে ঢুকতে পারেন। একটি মিটিংয়ে বা বাইরে গেলেও এটা বন্ধ হয় না, স্যার আবার আসবেন তো, রুমটা ঠান্ডা করতে হবে। আমরাই এর জন্য দোষী। আমরা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ওয়াসার পানি দুর্গন্ধ, কেউ বা ঠিকমতো পানিও পায় না, গ্যাস পাওয়া যায় না। আবার কী অদ্ভুত দেশ! বৈধ গ্যাস-সংযোগ দেয় না। অবৈধ সংযোগ হলে কানেকশন দেয়। সোলার কোম্পানির হয়ে ইলেকট্রিক কর্তাব্যক্তিরা কাজ করে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে। সোলার না লাগালে ইলেকট্রিক সংযোগ দেয় না। অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে স্বদেশ। প্রতি নির্বাচন শেষে আমরা একবার জ্বলন্ত আগুন থেকে তপ্ত কড়াইতে পড়ি। আমাদের নেতা-নেত্রী, মন্ত্রীরা, বিরোধী দল নিজেদের ছাড়া কিছু বোঝে না। আমরা জানি, সমালোচনা করি, তবু ভোট দেওয়া বন্ধ করি না। এত অসুবিধা সত্ত্বেও আমরা ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করি না। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা দক্ষিণখানে, এয়ারপোর্টের সামনে থেকে যেতে ভাঙা রাস্তা পাড়ি দিতে আরও কত লোক প্রতিবন্ধী হয়, তবু আমরা এদের ভোট দিই, মন্ত্রী বানাই।হীরক রাজার দেশের মতো আমাদের মগজ ধোলাই করে দুই দল নারকেলের দুই অংশের মতো আমাদের ভাগ করে ফেলেছে।আমাকে এসএমই ঋণ দেওয়া হয় না আমার বয়স ৫০ বছর পার হয়েছে বলে। মাননীয় কর্তাব্যক্তিরা, এটাই কি আমার দোষ?পাঠক, দুই দল নির্বাচন নিয়ে আবার খেলায় মেতেছে। এতে আপনার আমার কিছুই হবে না। ওরা নির্বাচন করুক। আমরা শুধু বলি জ্যাম ফ্রি, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ দিতে পারোনি। তোমরা কেড়ে নিয়েছ আমার জীবন, আমার পরিবেশ, আমার নদী, আমার নৈতিকতা, আমার মাধুর্য ও মানবিকতা। তাহলে কেন তোমাদের আমরা ভোট দেব?ড. ফেরদৌসী বেগম: উদ্ভিদ প্রযুক্তিবিদ, নির্বাহী পরিচালক, ডেবটেক।ferdousi@debtec.org | 6,983 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০০ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০১ | চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম | null | সমুদ্রে জাহাজ চালাবেন নারীরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/325903 | প্রথমবারের মতো সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদান করলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ‘এমভি বাংলার শিখা’ জাহাজে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজন নারী ক্যাডেট যোগদান করেছেন। পর্যায়ক্রমে আরও ১১ জন ক্যাডেট বিএসসির চারটি জাহাজে যোগদান করবেন। গতকাল শনিবার এমভি বাংলার শিখা জাহাজে ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে লাভলী দাস এবং ডেক ক্যাডেট হিসেবে বিউটি আক্তারের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য জাহাজে নিয়োগ পাওয়া ১১ জন নারী ক্যাডেট। কনটেইনার পরিবহনকারী বাংলার শিখা জাহাজটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মংলা বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়ায় নিয়োজিত আছে। আজ রোববার জাহাজটি মংলা বন্দরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা।এই ১৩ জন ক্যাডেট গত বছরের ডিসেম্বরে মেরিন একাডেমি থেকে ক্যাডেট হিসেবে উত্তীর্ণ হন। তাঁরা এক বছর বিএসসির পাঁচটি জাহাজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। এরপর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলে অফিসার হিসেবে জাহাজে কর্মজীবন শুরু করতে পারবেন। নৌমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় মেয়েরা গাড়ি চালাত, উড়োজাহাজ চালাত। এখন বাংলাদেশের মেয়েরা জাহাজও চালায়। বিএসসির পাঁচটি জাহাজে এই ১৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের বলেন, প্রশিক্ষণকালীন ক্যাডেটদের সুযোগ-সুবিধাসহ ভাতা দেওয়া হবে। এসব সুযোগ-সুবিধার পেছনে প্রতিজন ক্যাডেটের জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে।’বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ১৩ জন নারী ক্যাডেটকে বন্দর থেকে বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর ডেক ক্যাডেট বিউটি আক্তার জানান, ‘দুই আত্মীয়কে এই পেশায় থাকতে দেখে আগ্রহ তৈরি হয়। গত বছর ক্যাডেট হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রথম নিয়োগ পেলাম।’ | 95,064 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৫৪ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:৫৫ | খেলা,দেশের ক্রিকেট | null | নাঈমুর চান সচেতনতা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/428239 | বোর্ড পরিচালক তো ২৫ জনই। কিন্তু তাঁদের মধ্যে যিনি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান, তাঁকে যেন একটা আলাদা আলো ঘিরে থাকে সব সময়। তা সেটা এনায়েত হোসেনই হোন, হোন আকরাম খান কিংবা নাঈমুর রহমান।বিসিবির নতুন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানকে তাই কাল খুঁজে নিল সব ক্যামেরা। নতুন কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর এদিনই প্রথম মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এলেন নাঈমুর। জাতীয় দলের অনুশীলনের ফাঁকে মাঠে নেমে কথা বললেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের সঙ্গে। খোঁজখবর নিয়েছেন হাঁটুর অস্ত্রোপচার করে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরা তামিম ইকবালসহ অন্য ক্রিকেটারদেরও।চাইলে ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান হিসেবে নাঈমুরের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার এক টুকরো ছবি মিলিয়ে নিতে পারেন। কোচিং স্টাফের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনা এবং ক্রিকেটারদের আরও কাছ থেকে দেখাটাকে যে তিনি তাঁর প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যেই রাখছেন! ‘কোচ, ফিজিও, ট্রেনাররা মাঠের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনতে সাহায্য করেন, কিন্তু ক্রিকেটারদের মাঠের বাইরের বিষয়গুলোতেও উন্নতি আনা দরকার। তারা হয়তো নিজেরাই জানে না তারা কোন পর্যায়ে আছে। সে ব্যাপারে খেলোয়াড়দের সচেতন করে তোলার চেষ্টা করব। এ ছাড়া বোর্ডের সঙ্গে কোচিং স্টাফের যাতে কোনো দূরত্ব না থাকে, সে চেষ্টাও করব’—বলছিলেন নাঈমুর।নাঈমুর এর আগে ছিলেন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। কিন্তু বয়সভিত্তিক ক্রিকেটটা যেহেতু গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির অধীনে, এই কমিটির আলাদা কাজ বলতে তেমন কিছুই দৃশ্যমান নয়। তুলনায় ক্রিকেট পরিচালনা কমিটিতেই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর তাঁর সেরাটা দিতে পারবেন বলে ধারণা সবার। যদিও নাঈমুর ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব নিয়ে নতুন কিছু মনে করছেন না, ‘কাজ সব জায়গাতেই করতে হয়। আমার দৃষ্টিতে দুটো একই পর্যায়ে পড়ে। তবে আমাদের সবার কাজেরই প্রতিফলন যেহেতু জাতীয় দলের ফলাফলে প্রকাশ পায়, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ নিয়ে আলোচনাটা তাই বেশি হয়।’এই আলোচনা অনেক সময় নেতিবাচক ডালপালাও মেলে। জাতীয় দলকেন্দ্রিক বলেই হয়তো ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কার্যক্রমে নাক গলাতে চান সবাই। কী এক অদৃশ্য কারণে অন্য বোর্ড পরিচালকেরাও সুযোগ পেলেই হস্তক্ষেপ করতে চান এই কমিটির কাজে। নাঈমুর অবশ্য আভাস দিলেন, তাঁর সময়ে অন্যরা সে রকম সুযোগ খুব একটা পাবেন না, ‘আমি চেষ্টা করব প্রটোকলটা ঠিক রাখার। আমি চাইব ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ-সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় প্রথমে আমি জানতে, আমি বোর্ড সভাপতিকে জানাব। আমি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে চাই। অযাচিত কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ এখানে থাকবে না।’ | 107,942 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৫ মে ২০১৫, ০০:৫৫ | ২৫ মে ২০১৫, ০০:৫৬ | শেয়ারবাজার,বাণিজ্য | 0 | রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বিনিয়োগকারীদের ৮১ কোটি টাকা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/536458 | রাষ্ট্রীয় কোষাগারে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের দেওয়া ৮১ কোটি ২১ লাখ টাকা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাতে তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবধারীদের কাছ থেকে হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি বাবদ বিএসইসি চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য এ অর্থ সংগ্রহ করেছে।বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন সচিবালয়ে গতকাল অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে দুটি চেকে পুরো অর্থ তুলে দেন। বিএসইসির কমিশনাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।বিও হিসাব খোলার বার্ষিক ফি হচ্ছে ৫০০ টাকা। এর মধ্যে হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি ২০০ টাকা। বাকি ৩০০ টাকার মধ্যে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ১৫০ টাকা, ব্রোকার হাউস বা ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট ১০০ টাকা এবং বিএসইসি নিজে ৫০ টাকা পেয়ে থাকে।প্রক্রিয়াটি হচ্ছে—বিও হিসাব খোলার পর ব্রোকার হাউস বা ডিপিগুলো নিজেদের ১০০ টাকা রেখে বাকি টাকা পাঠিয়ে দেয় সিডিবিএলে। সিডিবিএল নিজের অংশটুকু রেখে বাকিটা পাঠিয়ে দেয় বিএসইসিতে। বিএসইসিও সরকারকে দেয় নিজের অংশ কেটে রাখার পর।২০০ টাকা রক্ষণাবেক্ষণ ফি হিসাবে শেয়ারবাজারে মোট বিও হিসাবধারী হওয়ার কথা ৪০ লাখ ৬০ হাজার ৫০০। বাস্তবে এত বিও হিসাবধারী আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসির শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, ‘এ সংখ্যা এত হবে না। কারণ, মোট ৮১ কোটি ২১ লাখ টাকার মধ্যে আগের অর্থবছরের টাকাও রয়েছে।’ | 141,874 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:০৬ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:০৬ | আরব বিশ্ব | null | পাঁচ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে মারল ইসরায়েল | http://www.prothom-alo.com/international/article/770797 | ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও ইসরায়েলের জেরুজালেমে পৃথক ঘটনায় এক দিনে তিন কিশোরসহ পাঁচ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলের পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা করলে এসব ফিলিস্তিনিকে গুলি করে মারা হয়। খবর বিবিসির।ইসরায়েলের পুলিশ বলেছে, একই দিন আরেক ঘটনায় হেবরন শহরে এক ফিলিস্তিনি কিশোরীকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রতি ঘটনায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলা বা হামলার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ করা হলেও এসবের কোনোটিতে কোনো ইসরায়েলি হতাহত হননি। খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলি আরবদের হামলার ঘটনার মধ্যে এগুলোই সাম্প্রতিকতম। গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষে ১৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২৬ ইসরায়েলিও।ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য, প্রথম ঘটনায় গত রোববার পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছে তাদের কিছু গাড়ি লক্ষ্য করে দুই ফিলিস্তিনি কিশোর ঢিল ছোড়ে। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা সেখানে পৌঁছালে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে কিশোরদের একজন। তখন সেনারা পাল্টা গুলি ছুড়লে ১৫ বছর বয়সী ওই দুই কিশোর নিহত হয়।ইসরায়েলি পুলিশের ভাষ্য, এ ঘটনার পর শহরের একটি তল্লাশিচৌকিতে ছুরি নিয়ে এক ফিলিস্তিনি কিশোর (১৭) কয়েকজন ইসরায়েলি পুলিশের দিকে তেড়ে যায়। চৌকিটিতে জেরুজালেমে প্রবেশ করা গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালানোর সময় কিশোরটি এ ঘটনা ঘটালে এক পুলিশ কর্মকর্তা গুলি করে তাকে হত্যা করেন।পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, তৃতীয় ঘটনায় জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে পুলিশের ওপর দুই ফিলিস্তিনি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালালে পাল্টা গুলি ছুড়ে তাঁদের হত্যা করা হয়।পৃথক একটি ঘটনায় হেবরনে তল্লাশিচৌকিতে ফিলিস্তিনি এক কিশোরী ছুরি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা চালালে গুলি করে তাকে আহত করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে বার্তা সংস্থা মানসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, নিজ বোনকে নিয়ে তল্লাশিচৌকি পেরিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ১৪ বছরের কিশোরীটিকে ছয়টি গুলি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনার এক দিন আগে হেবরন শহরেই ১৮ বছরের এক ফিলিস্তিনি তরুণীকে গুলি করে মেরেছিল ইসরায়েলি সেনারা। তাঁর বিরুদ্ধেও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ছুরি নিয়ে হামলাচেষ্টার অভিযোগ তোলেন।এদিকে, একদিনে পাঁচ ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার ঘটনায় ফিলিস্তিনের সরকারি কর্তৃপক্ষের তরফে কোনো বক্তব্য জানা যায়নি। সংবাদদাতারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা চললেও তা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। | 202,363 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:১০ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:১২ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | নির্দোষ হয়েও নিজেকে আসামির মতো মনে হচ্ছে রোনালদোর! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1039447 | ১৫০ মিলিয়ন ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো—খবরটি প্রথম দেয় জার্মান সাপ্তাহিক ডার স্পাইজেল। পর্তুগালের অধিনায়ক শুরু থেকেই এর প্রতিবাদ করে আসছিলেন। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রোনালদো কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই জেস্টিফিউট ২০১৫ সালে রোনালদোর আয়ের হিসাব দিয়েছে। কর পরিশোধের কাগজপত্র দেখিয়ে তারা জানিয়েছে, রোনালদো কর ফাঁকি দেননি। তবু বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁর। যে বিতর্ক তাঁর চতুর্থবারের মতো ব্যালন ডি’অর জয়ের আনন্দটাও কমিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রোনালদো। নির্দোষ হয়েও নিজেকে আসামির মতো মনে হচ্ছে তাঁর!ব্যালন ডি’অর জয়ের জয়ের পরই রোনালদোর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। সেখানেই রোনালদো জানিয়েছেন কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে তাঁর অনুভূতির কথা, ‘এটা অবশ্যই আমার আনন্দ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। যদি বলি, কমেনি, সেটা মিথ্যা বলা হবে।’শুরু থেকেই তীব্র ভাষায় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিবাদ করেছেন রোনালদো। করলেন আরও একবার, ‘আমি ভণ্ড নই। আমি অন্যায় কিছু করিনি। এই পুরো বিতর্কটা আমার অনেক ক্ষতি করছে। আমার পরিবার, আমার সন্তান, সবার জন্য এটা দুঃখজনক। আমার ছেলে স্কুলে যায়। ও এখন অনেক কিছু বুঝতে শুরু করেছে। ওর কেমন লাগছে ভেবে দেখুন। আমি সব সময় চেষ্টা করেছি স্বচ্ছভাবে সবকিছু করতে। আমার মিথ্যা বলার কোনো কারণই নেই।’এ রকম একটি বিতর্কে তাঁকে জড়ানোয় বেশ ক্ষুব্ধও রোনালদো, ‘যখন কেউ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলে, আমি কোথায় ছুটি কাটাতে যাই, আমার বান্ধবী আছে নাকি নেই, আমি কিছু মনে করি না। কারণ তারকাদের নিয়ে এটা হতেই পারে। কিন্তু এ রকম একটা বড় অভিযোগ আনা, যেখানে আইনি বিষয় জড়িত, এটা দুঃখজনক।’ভেতরে-ভেতরে কতটা অসহায় বোধ করছেন, সেটাও বললেন রোনালদো, ‘অনেক নির্দোষ মানুষ জেল খাটছে। আমার এখন নিজেকে ওদের মতো মনে হচ্ছে। যখন আপনি জানবেন যে আপনি অন্যায় কিছু করেননি, তারপরেও এসব কথা শুনতে ভালো লাগে না। আসলে কিছু মানুষকে কখনোই সন্তুষ্ট করা যায় না।’ গোল ডটকম। | 273,870 |
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি | international | আন্তর্জাতিক | ১৫ মার্চ ২০১৫, ০০:০৭ | ১৫ মার্চ ২০১৫, ০০:০৭ | ভারত | 0 | রাহুলের বাড়ি গিয়ে বিতর্কে পুলিশ | http://www.prothom-alo.com/international/article/476749 | রাহুল গান্ধীর বাড়ি গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল দিল্লি পুলিশ। তা-ও আবার রাহুলের গায়ের রং কী রকম, চোখের মণি কালো না বাদামি, উচ্চতা কতটা—এ ধরনের প্রশ্ন করা!দলের সহসভাপতির ওপর অনর্থক নজরদারির অভিযোগ এনে কংগ্রেস তুলোধোনা করেছে বিজেপি সরকারকে। বলেছে, এটা গুজরাট মডেল, ভারতীয় মডেল নয়। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি চাইবে জানিয়ে কংগ্রেস সোমবার সংসদ অচল করারও হুমকি দিয়েছে।স্পষ্টতই বিব্রত দিল্লির পুলিশ কমিশনার আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেছেন, রাহুলের বাড়িতে পুলিশের যাওয়া একটা রুটিন প্রক্রিয়ার অংশ। এমন প্রশ্নমালা নিয়ে পুলিশ আরও অনেক নেতার বাড়িই গেছে।ঠিক ১৪ বছর আগে ১৯৯১ সালের মার্চে এমনই নজরদারির অভিযোগে রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী তখনকার সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। রাজীবের বাড়ির সামনে দিল্লি পুলিশের দুই কনস্টেবলকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর ওপর নজরদারি করা হচ্ছে—এই অভিযোগে রাজীব সংসদের অধিবেশন চলার সময়েই সমর্থন তুলে নেন। প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন।কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি গতকাল শনিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা কোনো পুলিশ রাষ্ট্রে বাস করছি না। পুলিশ রাজনৈতিক গোয়েন্দাগিরি শুরু করেছে। এর জবাব প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিতে হবে।’রাহুল এখন দিল্লিতে নেই। কিছুদিন ধরে তিনি ‘অজ্ঞাতবাসে’। কেউ বলছেন, তিনি নতুন আরও বড় দায়িত্ব নেওয়ার আগে ‘রাজনৈতিক আত্মানুসন্ধানে’ ব্যস্ত। কেউবা বলছেন, নিজের মতো দল সাজাতে না পারায় ক্ষুব্ধ রাহুল গা ঢাকা দিয়েছেন।দিল্লি পুলিশের একটি দল দিন দুয়েক আগে ১২ তুঘলক লেনে রাহুলের সরকারি আবাসে যায়। সেখানে গিয়ে তারা রাহুলের গায়ের রং, চোখের মণির রং, উচ্চতা ইত্যাদি প্রশ্ন করতে থাকে। তাদের হাতে একটা ফর্ম ছিল। গান্ধী পরিবারের সদস্য হিসেবে রাহুল গান্ধী দেশের সর্বোচ্চ ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পান। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্তরা পাল্টা প্রশ্ন শুরু করলে পুলিশ চলে যায়।পুলিশের হয়ে গতকাল সাফাই দিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন দিল্লির পুলিশ কমিশনার বি এস বাসসি। পুলিশের যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে এটা রুটিন খোঁজখবর। সময়ে সময়ে দিল্লি পুলিশ এটা করে। কোনো খারাপ উদ্দেশ্য পুলিশের নেই।’পুলিশ কমিশনার বলেন, একইভাবে তাঁর দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ, লালকৃষ্ণ আদভানি, কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলি, এসপি নেতা নরেশ আগরওয়ালদের বাড়িও গেছে পুলিশ।সরকারি দল বিজেপিও কিছুটা বিব্রত। তবে তারা যে অনৈতিক কিছু করেনি, তা প্রমাণে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেছেন, ‘কংগ্রেস তিলকে তাল করছে। এটা এমন কিছু ব্যাপারই নয়। তা ছাড়া, রাহুলকে যাঁরা পাহারা দেন, তাঁদেরই কেউ তাঁর বাড়ি গিয়েছেন। এতে অন্যায় কিছু নেই।’ | 123,348 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৩৩ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৩৪ | খবরাখবর | null | মানুষের বুদ্ধিকে হারাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1410351 | চীনের আলীবাবা একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল বা প্রোগ্রাম তৈরি করেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিডিং’ ও ‘কম্প্রিহেনশন’ পরীক্ষায় মানুষকে হারিয়ে দিয়েছে ওই প্রোগ্রাম। ওই পরীক্ষায় আলিবাবার ইনস্টিটিউট অব ডাটা সায়েন্স অব টেকনোলজির ডিপ নিউরাল নেটওয়ার্ক মডেলটির স্কোর ছিল ৮২ দশমিক ৪৪ আর প্রতিপক্ষ হিসেবে মানুষের স্কোর ছিল ৮২ দশমিক ৩০।এক লাখ প্রশ্নের মধ্যে সঠিক উত্তর অনুমান করার পরীক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমান কোনো প্রোগ্রামের প্রথমবারের মতো কোনো মানুষকে হারানোর ঘটনা এটি। মাইক্রোসফটের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি প্রোগ্রাম ওই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮২ দশমিক ৬৫ স্কোর করেছে। তবে ওই ফলাফল আলীবাবার পরীক্ষার একদিন পর চূড়ান্ত করা হয়েছে।চীনের টেনসেন্ট হোল্ডিংস ও বাইদুর পথ ধরে চীনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পথে হাঁটা শুরু করেছে। সোশাল মিডিয়া ফিড সমৃদ্ধ করা, বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ ও সেবা নির্ধারণ, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এতে। ২০৩০ সাল নাগাদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে বেইজিং এ খাতটিকে উৎসাহ দিচ্ছে।মানুষ যেভাবে শব্দ ও বাক্য বুঝতে পারে তেমনি প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নিউরাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং কাজ করে। উইকিপিডিয়ায় থাকা ৫০০ এর বেশি আর্টিকেলের ওপর ভিত্তি করে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তৈরি করে। মেশিন লার্নিং মডেল বিশাল তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে সঠিক উত্তর বের করতে পারে কিনা তা যাচাই করা হয় এতে।যেমন-কি কারণে বৃষ্টি হয়? এ ধরনের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র নিখুঁতভাবে দিতে পারে।আলীবাবার নিউরাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংয়ের প্রধান গবেষক লুয়ো সি বলেন, তাঁদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রাম গ্রাহক সেবা, অনলাইন উত্তর, রোগীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কাজ করতে পারবে। তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ। | 351,595 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১০:৫০ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৩:৫৪ | রাজধানী (জাতীয়) | null | ‘আজ হরতাল-অবরোধ নাই, গাড়ি চলবে না কেন?’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/109960 | ‘ছোট বোনের অস্ত্রোপচার হবে। ওখানে ওর পাশে থাকার কেউ নেই। আমি জানতাম না আজ গাড়ি চলবে না। আজকে তো কোনো হরতাল-অবরোধ নাই। গাড়ি চলবে না কেন?’ফরিদপুরে ফিরতে বাসের প্রতীক্ষায় থাকা যাত্রী ইভানা সুলতানা এভাবে খেদ প্রকাশ করেন। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে মাহিদকে নিয়ে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসেছেন তিনি।রাজধানীর গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গতকাল শুক্রবার রাত থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। আজ শনিবার সকাল থেকে বাসের জন্য হাজারো যাত্রী অপেক্ষা করছে।গাবতলীতে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বেশির ভাগই জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা ছাড়ার জন্য ভোর থেকে এসে অপেক্ষা করছে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত কামরুল হাসান তাঁর ছোট ভাই কাজী কনক হাসানকে নিয়ে টার্মিনালের সামনের সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। ছোট ভাই গতকাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। আজ তাঁকে মাগুরায় পাঠানো হবে।ক্ষোভ প্রকাশ করে কামরুল হাসান বলেন, ‘ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য বাধা কিসের? ঢাকার বাইরে গিয়ে তো কেউ মার্চ ফর ডেমোক্রেসি করবে না। ঢাকা ফাঁকা হলে তো সরকারেরই লাভ। বিরোধী দল সমাবেশ করে কী করবে, বুঝতে পারছি না। দুই দলের প্রধান কার্যালয় দুটিকে মানসিক হাসপাতাল করা উচিত। হাসপাতালের ভেতরে অফিস রাখা উচিত। তারা সেখান থেকে খেয়াল খুশিমতো কর্মসূচি দিতে পারবে। আবার দুই দলের নেতাদের চিকিত্সাও দিতে পারবে।’যাত্রীদের এই আটকে পড়ার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন স্বল্পপাল্লার বাস ও ট্যাক্সিচালকেরা। ট্যাক্সিচালক হোসেন আলী পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া হাঁকছেন এক হাজার টাকা। চারজন নিয়ে যাবেন চার হাজার টাকায়। বেশি ভাড়া কেন নিচ্ছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ট্যাক্সি যদি ভেঙে দেয় বা রাস্তায় যদি কোনো ক্ষতি হয়, এর দায় তো কেউ নেবে না।’গাবতলীতে অবস্থিত যশোর-সাতক্ষীরাগামী বাস কাউন্টার এসপি গোল্ডেন লাইনের ব্যবস্থাপক আরিফুজ্জামান জানান, রাতে যেসব গাড়ি যশোর-সাতক্ষীরা থেকে ছেড়েছে, সেগুলো এখনো ঢাকায় আসেনি। তাই আজ গাড়ি ছাড়ার নতুন সময়সূচি তিনি বলতে পারছেন না। তিনি জানালেন, ফেরি বন্ধ। তাই গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঘুরে আসছে। আজ কখন বাস ছাড়া হবে মালিকপক্ষের কাছ থেকে সে নির্দেশনা পাননি।আগামীকাল বিএনপির কর্মসূচি মোকাবিলায় গাবতলীতে সড়কের এক পাশে চেয়ার পেতে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতারা। দারুস সালাম থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ‘আগামীকাল বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে, সেটা ধ্বংসাত্মক। সেটা মোকাবিলার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে এখানে অবস্থান করব। তা ছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে জনগণকে সচেতন করব।’পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি গতকাল দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি। আজও দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি। সম্ভবত আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে বাস ছাড়ার কথা রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সতর্ক রয়েছি।’ কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি জানান।সায়েদাবাদ থেকে কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলার রুটে সকালে কিছু বাস ছেড়েছিল। তবে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বাসগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে শ্রমিকেরা দাবি করেছেন। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অবস্থিত ফেনীর স্টার লাইন আগে ১৫ মিনিট পরপর বাস ছাড়লেও এখন এক ঘণ্টা পর পর ছাড়ছে।রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে আজ সকাল থেকে কোনো বাস ঢোকেনি, ছেড়েও যায়নি। ৫০০টির মতো বাস ঠায় দাঁড়িয়ে আছে টার্মিনালে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় টার্মিনালের বাইরেও বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে মানুষ বাস টার্মিনালে এসেছেন, গাড়ি না পেয়ে অসহায়ভাবে ঘোরাঘুরি করে ফিরে গেছেন বা ভেঙে ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।গাড়ি-ঘোড়া চলছে না কেন, জানতে চাইলে বাসচালক ও মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য। হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী পরিবহন শ্যামলী বাংলার চালক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ধর্মঘট না বিএনপির ধর্মঘট বুঝতেসি না। কাল বেলা তিনটায় রওয়ানা দিয়া ঢাকায় পৌঁছছি রাত সাড়ে ১১টায়। সকালে উইঠ্যা শুনলাম গাড়ি যাইব না। তবে কাইল প্রচুর মানুষ ঢাকায় আসছে। চার ঘণ্টার রাস্তা পারাইতে আট ঘণ্টা লাগছে।’শেরপুর থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের এক চালক বলেছেন, গাড়ির মালিকদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা। কাল বিরোধী দলের অবরোধ থাকায় তাঁরা ইচ্ছে করে গাড়ি চালাচ্ছেন না। অপর এক চালক মো. লাল্টু খান বলেছেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি থাকলেই শ্রমিক সংগঠনের নাম করে ধর্মঘট ডাকা হয়।এসব বিষয়ে জানতে মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ‘অসুস্থ’ এবং কথা বলতে পারবেন না বলে জানান।মালিক সমিতির কার্যালয়ে বসে অপর এক মালিক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন নির্বাচনকালীন সময় পর্যন্ত বাস ‘রিক্যুইজিশন’ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের জিম্মায় থেকেও গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সে কারণে তাঁরা বাস চালাচ্ছেন না। দুঃখ করে তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে যেসব বাস চলে তার মধ্যে সবচেয়ে কম দামি বাসের দাম ৪০ লাখ টাকা। আমি বাস রাস্তায় নামলাম, কেউ আগুন দিয়ে দিলে আমি তো শেষ। কার ভরসায় গাড়ি নামাব রাস্তায়? আওয়ামী লীগ-বিএনপি মারামারি করে। তারা একজন আরেকজনের বাড়িতে, গাড়িতে আগুন দিক। আমার গাড়িতে কেন?’এদিকে ঢাকা থেকে বাস ছেড়ে না যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন বয়সের যাত্রীরা ভোর থেকে আসছে, তবে গাড়ি না পেয়ে তারা ফেরত যাচ্ছে। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে রাবেয়া খাতুন নামের ষাটোর্ধ্ব এক নারী নেত্রকোনা যাওয়ার জন্য ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাস না পেলে বাড়ি যাবেন কীভাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। | 39,183 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:২৫ | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ১৯:১৪ | সরকার | null | সরকারি হচ্ছে আরও ২৩ কলেজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1001191 | সারা দেশে আরও ২৩টি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ (সরকারি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কয়েক দিন আগে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কলেজগুলোর তালিকা দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কাছে পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, এখন মাউশি এসব কলেজ পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে। পরে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জাতীয়করণের আদেশ জারি করবে। এর আগে গত জুন মাসে সারা দেশের আরও ১৯৯টি বেসরকারি কলেজ সরকারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে এখনো এগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত আদেশ জারি হয়নি। আনুষঙ্গিক কাজ চলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই, সেগুলোতে একটি করে কলেজ সরকারি করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, যেনতেন কিছু কলেজও জাতীয়করণ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায় আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ উঠেছে। এর আগে এ নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এসব কলেজের আত্তীকৃত হওয়া শিক্ষকেরা আপাতত অন্য কলেজে বদলি হতে পারবেন না। মাউশির একজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সারা দেশে ৩৩৫টি সরকারি কলেজ আছে। সরকারের পরিকল্পনা হলো আরও তিন শতাধিক কলেজকে সরকারি করা হবে। এদিকে আত্তীকৃত শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিদ্যমান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ বিষয়ে মন্তব্য করছেন।যে ২৩ কলেজ সরকারি হচ্ছে: ঢাকার নবাবগঞ্জের দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বিচারপতি নূরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়, দৌলতপুরের মতিলাল ডিগ্রি কলেজ, ফরিদপুরের সালথা কলেজ, শরীয়তপুরের জাজিরার বি. কে নগর বঙ্গবন্ধু কলেজ, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া কলেজ, শেরপুরের ঝিনাইগাতীর আদর্শ মহাবিদ্যালয়, চট্টগ্রামের হাটহাজারি কলেজ, কুমিল্লার হোমনা ডিগ্রি কলেজ, সিলেটের বিশ্বনাথ কলেজ, রাজশাহী তানোরের আব্দুল করিম সরকার কলেজ, দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজ, নওগাঁর মান্দা মমিন-শাহানা ডিগ্রি কলেজ, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কাজী কোরাপ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, বগুড়ার নন্দীগ্রাম মহিলা ডিগ্রি কলেজ, শিবগঞ্জ এম এইচ মহাবিদ্যালয়, রংপুরের তারাগঞ্জ ওয়াকফ এস্টেট কলেজ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ডিগ্রি কলেজ, চিরিরবন্দর ডিগ্রি কলেজ, খুলনার তেরখাদার নর্থ খুলনা কলেজ, দিঘলিয়া এম এ মজিদ ডিগ্রি কলেজ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা মহিলা কলেজ। | 256,228 |
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:৩৯ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:৪০ | বাউফল,পটুয়াখালী,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | null | ছাত্রলীগ নেতাকে পিটুনি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/462409 | পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ও ছাত্রলীগের তিন কর্মীকে গত মঙ্গলবার বেদম মারধর করা হয়েছে। এতে সাইফুলের ডান হাত ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ছাত্রলীগের কর্মী মাহামুদ হাসানসহ (২৮) নয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে।এজাহার ও স্থানীয় সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলে ছোট ভাই অলিউল্লাকে নিয়ে বগা এলাকায় বোনের বাড়িতে যান সাইফুল ইসলাম। পরে ওই এলাকার খলিল কাজীর বাড়ির সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে ছাত্রলীগের কর্মী মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল পথরোধ করে দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয় সাইফুলকে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর মোটরসাইকেল ও ২০ হাজার টাকা। খবর পেয়ে সাইফুলকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কর্মী পাভেল, আমিন খান ও লিন্টু খান। বিকেল পাঁচটার দিকে বগা বন্দর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পৌঁছালে তাঁদেরও পিটিয়ে জখম করে হাসান বাহিনী।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আখতার উজ্জামান বলেন, সাইফুলের ডান হাত ও বাঁ হাতের একটি আঙুল ভেঙে গেছে। অন্যদের শরীরেও জখম রয়েছে।জানতে চাইলে মাহামুদ হাসান বলেন, মারামারির ঘটনায় তিনি ও তাঁর লোকজন জড়িত না। | 118,526 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০৪ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০৪ | আরব বিশ্ব | 0 | বাশারকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা বাড়িয়েছে ইরান | http://www.prothom-alo.com/international/article/152692 | চতুর্থ বছরে গড়াতে চলেছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ। এমন প্রেক্ষাপটে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীকে সহায়তা দেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান। তারা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে এবং সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে অভিজাত দল পাঠিয়েছে। সামরিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অবগত সূত্রগুলো এ খবর দিয়েছে।দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়ার সামরিক রসদ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহের পাশাপাশি তেহরানের এই বৃহত্তর সহায়তা বাশারকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরাট ভূমিকা রাখছে। আর এমন একটা সময়ে তিনি ইরানের সহায়তা পাচ্ছেন, যখন লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তাঁর বাহিনী বা বিরোধী যোদ্ধাদের কেউই চূড়ান্ত জয় পাওয়ার মতো অবস্থানে নেই।শিয়াপন্থী ইরান এরই মধ্যে আসাদের হাত শক্তিশালী করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছে, যা সুন্নিপন্থী আরব দেশগুলোর সঙ্গে একটা সাম্প্রদায়িক পরোক্ষ যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। সিরিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়টি যদিও নতুন নয়, সামরিক বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, তেহরান সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটিতে অধিক হারে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশ-বিদেশে বাশারের শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করা।সামরিক সদস্যদের মোতায়েন বিষয়ে অবগত ইরানি সূত্র, সিরিয়ার বিরোধী সূত্র এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় তেহরানের যে শত শত সামরিক বিশেষজ্ঞ মোতায়েন রয়েছেন, তাঁদের থেকে এখন ব্যাপক সুবিধা পাচ্ছেন বাশার। এর মধ্যে রয়েছেন প্রভাবশালী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের বহির্বিভাগ ও গোপন শাখা অভিজাত কুদস বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা। পাশাপাশি আইআরজিসির সদস্যরাও রয়েছেন। তাঁদের কাজ সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেওয়া নয়; বরং সিরিয়ার বাহিনীকে নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া। পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহেও তাঁরা সহায়তা দিয়ে থাকেন।ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্ত্রশস্ত্র বা আর্থিক সহায়তা দিয়ে বা সেনাসদস্য পাঠিয়ে ইরান কখনোই সিরিয়ায় সম্পৃক্ত হয়নি।’তবে ইরানের সাবেক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, যিনি আইআরজিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ—জানিয়েছেন সিরিয়ায় ইরানি বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। তিনি জানান, কুদস বাহিনী সিরিয়ায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে। কুদস বাহিনী এবং আইআরজিসির শত শত কমান্ডার সিরিয়ায় রয়েছেন, তবে তাঁরা সরাসরি লড়াইয়ে সম্পৃক্ত নেই।সম্প্রতি অবসর নেওয়া একজন জ্যেষ্ঠ আইআরজিসি কমান্ডার জানান, সিরিয়ায় কুদস বাহিনীর কমপক্ষে ৬০-৭০ জন কমান্ডারকে আসাদের সামরিক বাহিনী ও তাঁর কমান্ডারদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কুদস বাহিনীর কমান্ডারদের নির্দেশনা অনুসারেই রেভল্যুশনারি গার্ড যুদ্ধ পরিচালনা করে থাকে।ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি মোতাবেক, সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে উপদেশ, প্রশিক্ষণ এবং কিছু ক্ষেত্রে পরিচালনার জন্য দেশটিতে শত শত ইরানি সক্রিয় রয়েছে। | 53,335 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৬ জুলাই ২০১৭, ০১:১৪ | ২৬ জুলাই ২০১৭, ০১:১৪ | টেলিভিশন | 0 | আবার ফিরছেন তিন্নি, সঙ্গে সজল | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1265456 | মাঝেমধ্যেই হুট করে ক্যামেরার সামনে হাজির হন একসময়ের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। গত বছরের শুরুর দিকে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তার কয়েক মাস পর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছিলেন, ভালো নেই তিনি। তবে গতকাল কথা হলো অন্য এক তিন্নির সঙ্গে। শ্রীমঙ্গল থেকে মুঠোফোনে জানালেন নিজের নতুন কাজের খবর। সেখানে একটি নাটকের শুটিং করছেন। নাম কুয়াশার ভিতরে একটি মৃত্যু। নাটকটি পরিচালনা করেছেন পারভেজ আমিন।এত দিন পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর পুরো কৃতিত্বটা তিন্নি দিলেন পরিচালককে। ‘আমার সঙ্গে অনেক দিন ধরে পারভেজ ভাই যোগাযোগ করছেন। আবার অভিনয়ে ফেরার অনুরোধ করছেন। এ কারণে তাঁর নাটকটি দিয়ে ফিরলাম।’ মুঠোফোনে বললেন তিন্নি। এরপর কি নতুন নাটকে দেখা যাবে তিন্নিকে? আবার কি নিয়মিত হবেন অভিনয়ে? মুঠোফোনের ওপাশ থেকে বললেন, ‘হ্যাঁ। কাজের সুযোগের সঙ্গে ভালো গল্প ও চরিত্র লাগবে কিন্তু!’কুয়াশার ভিতরে একটি মৃত্যু নাটকে তিন্নির সহশিল্পী সজল। কথা হলো তাঁর সঙ্গেও। বললেন, ‘আমি চাই তিন্নির মতো অভিনেত্রী নিয়মিত কাজ করুক। ও কেন যে অভিনয় করে না, বুঝি না!’নাটকটির গল্প নিয়ে পরিচালক বললেন, একজন চিত্রশিল্পী (সজল) এসেছেন শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্টে। বছর কয়েক আগে চিত্রশিল্পীর স্ত্রী মারা গেছেন এই রিসোর্টেই। একই সময়ে বাচ্চাসহ তিন্নিও এসেছেন বেড়াতে। পূর্বপরিচিত সজল ও তিন্নির দেখা হয় অনেক দিন পর। তাঁদের পুরোনো স্মৃতি ও নতুন নানা ঘটনা নিয়েই এগিয়েছে গল্প।গল্পের বাকিটা জানার জন্য পরিচালক বললেন আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। সে সময় নাটকটি দেখা যাবে টিভিতে। | 328,859 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০১ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০১ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/325330 | যাহা বলিব সত্য বলিবকথাবন্ধু কিবরিয়ার সঙ্গে[ রাত ১১.২০-২.০০ ]রিভাইব লাইফস্টাইল[ বেলা ১১.২০-১১.৫০ ]গ্রামীণফোন লাউঞ্জ[ সন্ধ্যা ০৭.২০-০৭.৫০ ]মি. নুডলস মিউজিক ক্ল্যাসিক[ সকাল ৮.১৫-৮.৪৫ ] | 95,298 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৪ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২১ | ফুটবল,ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো,ক্যানসার | null | ক্যানসারের বিরুদ্ধে রোনালদোর মায়ের যুদ্ধ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1578372 | ২০০৭ সালে ধরা পড়া ক্যানসার এখন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফলে বেঁচে থাকার জন্য প্রতি মুহূর্তে লড়তে হচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মা দোলোরেস আভেইরোকে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাঁর মাকে যে কতটা ভালোবাসেন, সেটি আর নতুন করে বলার কিছু নেই। ‘মা না প্রেমিকা’ এই দ্বন্দ্বে পড়ে কয়েক বছর আগে প্রেমিকা ইরিনা শায়েককেই জীবন থেকে বিদায় করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রিয়তমা মায়ের জীবনে ক্যানসার আবারও ফিরে এসেছে, জানিয়েছেন রোনালদোর মা দোলোরেস আভেইরো নিজেই। ২০০৭ সালে প্রথমবার ক্যানসারে আক্রান্ত হন দোলোরেস। সেবার রেডিওথেরাপি ও বিভিন্ন ওষুধ-পথ্যের সাহায্যে ক্যানসারকে দূরে ঠেলতে পেরেছিলেন তিনি। যে হাসপাতালে তাঁর মায়ের চিকিৎসা হয়েছিল, রোনালদো এক লাখ পাউন্ড খরচ করে সেখানে একটি ক্যানসার সেন্টার বানিয়ে দিয়েছিলেন। রোনালদোর শহর মাদেইরাতে একটা ক্যানসার সেন্টার বানানোর জন্য দান করেছিলেন তিনি। এক বন্ধুর বরাত দিয়ে তখন সংবাদমাধ্যমগুলো লিখেছিল, ‘ মা কে সুস্থ করার পেছনে যাদের হাত রয়েছে, রোনালদো তাদের প্রতি চিরজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।’ দীর্ঘ ১২ বছর পর আবারও ক্যানসার ফিরে এসেছে দোলোরেসের শরীরে। পর্তুগিজ এক চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দোলোরেস জানিয়েছেন, ‘২০০৭ সালে টিউমার সরানো হয়েছিল, এবার মাদ্রিদে আরেকটি টিউমারের ওপর চিকিৎসা চলছে। আমি রেডিওথেরাপি নিচ্ছি, জীবনের সঙ্গে আবার লড়াই শুরু হয়েছে আমার।’ এর বাইরে অবশ্য তাঁর ক্যানসার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি রোনালদোর মা।২০০৫ সালে মদ্যপায়ী বাবাকে অকালে হারানো রোনালদো জানেন প্রিয়জন হারানোর বেদনা কেমন। মায়ের এই বক্তব্য সম্পর্কে রোনালদোর কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি এখনো। | 389,877 |
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ | life-style | জীবনযাপন | ০৩ মে ২০১৭, ০১:০৫ | ০৩ মে ২০১৭, ০১:০৫ | অধুনা,আমার ডাক্তার | 0 | রোগটির নাম চিকুনগুনিয়া | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1165856 | ইদানীং অনেক রোগী প্রায়ই অভিযোগ করছেন, তাঁদের ভাইরাস জ্বর বা ডেঙ্গু জ্বর হয়েছিল, কিন্তু জ্বর সেরে গেলেও শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। সাধারণত যেকোনো ভাইরাস বা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যান। অথচ দেখা যাচ্ছে জ্বর ছেড়ে গেলেও রোগী আরও কিছুদিন অসুস্থ ও দুর্বলবোধ করছেন, বিশেষ করে শরীরের গিঁটে গিঁটে ব্যথা কিছুতেই যাচ্ছে না বা দুর্বলতা, ক্লান্তি কাটছে না। আসলে ডেঙ্গু হিসেবে সন্দেহ করা হলেও এ রোগটি সম্ভবত ডেঙ্গু জ্বর নয়; বরং অন্য একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যাকে বলে চিকুনগুনিয়া।চিকুনগুনিয়া কী?চিকুনগুনিয়া রোগটি ভাইরাসজনিত। আমাদের অতি পরিচিত ডেঙ্গুর সঙ্গে এর অনেকটাই মিল রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের মতোই এই ভাইরাসটি এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবপ্টিকাস মশার কামড়ের মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করে। চিকুনগুনিয়া মানবদেহ থেকে মশা এবং মশা থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে থাকে। মানুষ ছাড়াও বানর, পাখি, তীক্ষ্ণ দন্ত প্রাণী যেমন ইঁদুরে এই ভাইরাসের জীবনচক্র বিদ্যমান।লক্ষণচিকুনগুনিয়ার মূল উপসর্গ হলো জ্বর এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা। শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়, তবে কাঁপুনি বা ঘাম দেয় না। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা, গায়ে লাল লাল দানার মতো র্যাশ, অবসাদ, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়, এমনকি ফুলেও যেতে পারে। তীব্র অবসাদ, পেশিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা ইত্যাদি জ্বর চলে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনকি মাসের পর মাসও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা বা প্রদাহ থাকতে পারে; যা অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম করে তোলে। রোগী ব্যথায় এতই কাতর হন যে হাঁটতে কষ্ট হয়, সামনে বেঁকে হাঁটেন।পরীক্ষা-নিরীক্ষাচিকুনগুনিয়া সন্দেহ হলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে দেখা হয়। এতে ২ থেকে ১২ দিন লাগতে পারে।চিকিৎসাঅন্যান্য ভাইরাস জ্বরের মতো এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এর চিকিৎসা মূলত রোগের উপসর্গগুলো নিরাময় করা। রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি বা অন্যান্য তরল খেতে দিতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধই যথেষ্ট। এর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিতে হবে। তীব্র ব্যথার জন্য অন্য ভালো ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে। রোগীকে আবার যেন মশা না কামড়ায় এ জন্য তাঁকে মশারির ভেতরে রাখাই ভালো। কারণ আক্রান্ত রোগীকে মশা কামড় দিয়ে কোনো সুস্থ লোককে সেই মশা কামড়ালে ওই ব্যক্তিও এই রোগে আক্রান্ত হবেন।প্রতিরোধচিকুনগুনিয়া জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই, কোনো ভ্যাকসিন বা টিকাও নেই। তাই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো এডিস মশা প্রতিরোধ। এডিস মশার উৎপত্তি স্থল ধ্বংস করা এবং মশা নির্মূল করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বাসাবাড়ির আশপাশে যেখানে পানি জমে থাকতে পারে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে এবং নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। ডাবের খোসা, কোমল পানীয়ের ক্যান, ফুলের টব—এসব স্থানে যাতে পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। দরজা-জানালায় নেট লাগানো, ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার। জেনে রাখা ভালো, এডিস মশা মূলত দিনের বেলা এবং ঘরের বাইরেই বেশি কামড়ায়।চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে জেনেনিন* চিকুনগুনিয়া রোগটি এডিস মশার কামড় থেকেই হয়। তাই মশা থেকে দূরে থাকুন।* সন্তান মায়ের দুধ পান করলে সাধারণত চিকুনগুনিয়া হয় না। তাই আক্রান্ত মায়েদের চিন্তিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই।* চিকুনগুনিয়া হয়েছে এটা বোঝার উপায় হলো জ্বর, মাথায় যন্ত্রণা, সারা শরীরে ব্যথা এবং গিরায় গিরায় খুব বেশি ব্যথা হয়। ডেঙ্গুর মতোই গায়ে অ্যালার্জি বা ঘামাচির মতো র্যাশ হয়। তবে রক্তক্ষরণ একেবারেই হয় না, রক্তের প্লাটিলেটও কমে না।ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহডিন, মেডিসিন অনুষদ, অধ্যাপক মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। | 315,083 |
-1 | sports | খেলা | ১৪ জুলাই ২০১৪, ০০:০১ | ১৪ জুলাই ২০১৪, ০০:০১ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,২০১৪ বিশ্বকাপ, ব্রাজিল,বিশ্বকাপ ফুটবল,মাঠের বাইরে | 0 | শাকিরার কৃতজ্ঞতা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/266626 | ‘ওয়াকা ওয়াকা’ থেকে শুরু করে ‘লা লা লা’—শাকিরার থিম সং মানেই তন্ময় হয়ে বিশ্বকাপে বুঁদ হয়ে থাকা। এই লেখা যখন পড়ছেন, শাকিরা এবারের সমাপনী অনুষ্ঠানও মাতিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু অসাধারণ থিম সংগুলোর জন্য যেখানে ধন্যবাদটা প্রাপ্য শাকিরার, সেখানে শাকিরাই উল্টো ধন্যবাদ জানাচ্ছেন বিশ্বকাপকে! বিশ্বকাপের কল্যাণেই যে ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে পাওয়া! ২০১০ বিশ্বকাপের থিম সংয়ের কাজ করতে গিয়েই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় থেকে ভালো লাগা, ভালোবাসা—অতঃপর ১৮ মাস আগে কোলজুড়ে এল ফুটফুটে এক সন্তানও! শাকিরার মুখেই শুনুন, ‘বিশ্বকাপ না থাকলে তো আমার কোলজুড়ে ছেলে মিলান আসত না।’ ইয়াহু স্পোর্টস। | 77,726 |
বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, বান্দরবান | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৪৫ | ১৩ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৪৭ | বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | পরিবেশের ‘অস্কার’ পেল বান্দরবানের তাজিংডং | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1019803 | বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশবিষয়ক পুরস্কার ‘দ্য এনার্জি গ্লোব অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ পেয়েছে বান্দরবানের বেসরকারি সংস্থা তাজিংডংয়ের একটি প্রকল্প। গত ১০ নভেম্বর মরক্কোর মারাক্কেশে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।অস্ট্রিয়ার নাগরিক উলফগাং নয়মানের প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক সংস্থা এনার্জি গ্লোব ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। সংস্থার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ছয়টি বিভাগে পুরস্কারের জন্য ১৭৮টি দেশ থেকে দুই হাজার প্রকল্প জমা পড়ে। জুরিবোর্ডের সদস্যরা এর মধ্য থেকে প্রথমে ১৭টি প্রকল্প বাছাই করেন। পরে সেখান থেকে সেরা ছয়টি প্রকল্প নির্বাচন করে জুরিবোর্ড।তাজিংডংয়ের প্রকল্প পুরস্কার পেয়েছে ‘আর্থ’ বিভাগে। পরিবেশের ক্ষেত্রে অস্কার হিসেবে খ্যাত এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৯৯ সালে।তাজিংডংয়ের নির্বাহী পরিচালক অংশৈসিং মারমা গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, সংস্থার ‘সামাজিক অংশগ্রহণে গ্রামীণ সাধারণ বন সংরক্ষণ’ প্রকল্প এই পুরস্কার পেয়েছে। তিনি বলেন, তাজিংডংয়ের প্রকল্প পুরস্কার পেলেও এটি বাংলাদেশেরই অর্জন।বেসরকারি সংস্থা তাজিংডংয়ের প্রধান কার্যালয় বান্দরবান শহরের উজানীপাড়ার পুরোনো রাজবাড়ি এলাকায়। সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ বনের (ভিলেজ কমন ফরেস্ট) ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। ঢাকার আরণ্যক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তাঁরা রোয়াংছড়ি উপজেলায় সামাজিক অংশগ্রহণে পাড়া-গ্রামের চারপাশের বন সংরক্ষণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এই প্রকল্পের কারণে গ্রামের মানুষের পানির উৎসও সুরক্ষিত হচ্ছে। সেই উৎস থেকে বাড়ি বাড়ি পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক বন সংরক্ষণ হওয়ায় বন্য প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে উঠেছে।আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, আগে থেকেই পাহাড়িদের পাড়ার বন সংরক্ষণের ঐতিহ্য ছিল। এটি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ হলেও নানা কারণে সেই ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তির পথে। সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও তাজিংডং ২০০৯ সাল থেকে কাজ করছে। নয়টি পাড়ায় ১২ হাজার ৯১৯ হেক্টর জমির বন সংরক্ষণ করা হয়েছে। পাড়ার লোকজনই এ বন সংরক্ষণ করছেন। | 264,825 |