author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪৬ | ২০ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪৮ | রাজধানী (জাতীয়),ঢাকা বিভাগ,রাজনীতি | 0 | শফিক রেহমানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার: ফখরুল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/835084 | ‘সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে’ ও ‘কিছুটা প্রতারণার মাধ্যমে’ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে বৃদ্ধ বয়সে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। শফিক রেহমানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তাঁর মুক্তির দাবিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই সমাবেশ করে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, শফিক রেহমানের গ্রেপ্তার গোটা জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছে। যাঁরা শফিক রেহমানের রাজনৈতিক চিন্তার সঙ্গে একমত নন, তাঁরাও আজ সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। তাঁরাও বলছেন, এভাবে গ্রেপ্তার করাটা সমীচীন হয়নি। কারণ, এই মানুষটি সারা জীবন ধরে সত্য, সুন্দর ও ভালোবাসার কথা বলে এসেছেন। আধুনিক চিন্তাভাবনা নিয়ে সমৃদ্ধময় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে যখন ৮৩টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, তখন সংবাদপত্রসেবিরা বুঝতে পেরেছেন যে এই সরকার মূলত ভিন্নমত পোষণের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, যখন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অনেকে চুপ থাকেন। যখন মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়, তখন কেউ কেউ কথা বলেন। কিন্তু এখন কথা বলার সুযোগটুকুও চলে গেছে।প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সব মামলা প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সচল রাখার সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, এই সরকারের একজন মন্ত্রী অভিযুক্ত। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাজা বহাল রেখেছেন। অথচ তিনি এখনো মন্ত্রিত্ব করছেন। অপর দুই মন্ত্রীকে সর্বোচ্চ আদালত সাজা ও জরিমানা করেছেন, তাঁরাও বহাল তবিয়তে আছেন। এই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য, যেভাবেই হোক, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে।জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।মাছিও মারতে পারেন না তিনি: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান বলেছেন, শফিক রেহমান একটি মাছিও মারতে পারেন না, অথচ তাঁর বিরুদ্ধে মানুষ হত্যার অভিযোগ এনে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আরেক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নেওয়ার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন দেশে খুন-গুম, হত্যা হচ্ছে তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। অথচ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হওয়ার কারণে তাঁর হত্যার আশঙ্কার কথা শুনেই দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে।গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও-এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাও-প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, মাহমুদুর রহমান মান্না, শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক আবদুল মান্নানের মুক্তি দাও’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে শামসুজ্জামান এ কথা বলেন। | 221,853 |
ভোলা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ মার্চ ২০১৭, ০০:৩৪ | ১৯ মার্চ ২০১৭, ০০:৩৫ | ভোলা,বিশাল বাংলা | 0 | তজুমদ্দিনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1112359 | প্রায় এক যুগ পর ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কালীমাতার মন্দিরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সম্মেলনে সবার সম্মতিক্রমে মলয় কৃষ্ণকে সভাপতি ও বিরেন চন্দ্র নন্দীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।মন্দির কমিটির সভাপতি দীপক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভোলা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অবিনাশ নন্দী, সদস্যসচিব ধ্রুব হালদার, নির্বাহী সদস্য গোপাল সাহা, শিবু কর্মকার ও নূপুর চন্দ্র দে, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন কর্মকার প্রমুখ। | 304,366 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৪, ০১:৫০ | ২১ আগস্ট ২০১৪, ০১:৫১ | রাজধানী (জাতীয়),মহানগর,অপরাধ | 0 | গুলি করে ১৫ লাখ টাকা লুট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/296641 | রাজধানীর তাঁতীবাজারে সোনা বন্ধক রাখার দোকানে ঢুকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দোকানের মালিক খোরশেদ আলমকে (৫০) গুলি করে ১৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় জুয়েল শেখ (৩৫) নামের এক পথচারী আহত হন। তাঁদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্র জানায়, তাঁতীবাজারের ‘খোরশেদ বুলিয়ন স্টোরে’ এ ঘটনা ঘটে।কোতোয়ালি থানার ওসি ফিরোজ জালাল বলেন, খোরশেদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা। টাকা না নিতে পেরে গুলি চালালে তিনিসহ দুজন আহত হন। | 86,769 |
সৈয়দ আবুল মকসুদ | opinion | মতামত | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:১৩ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:১৩ | সৈয়দ আবুল মকসুদ,সহজিয়া কড়চা,মতামত,রাজনীতি | null | নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে কিছু কথা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1080579 | শুভ সূচনায় মিষ্টিমুখ করানো বাঙালির চিরকালের ঐতিহ্য। পরীক্ষায় কেউ পাস করেছে, তাকে মিষ্টিমুখ করাতে হয়। ঘনিষ্ঠরা মিষ্টির হাঁড়ির গলায় দড়ি বেঁধে ছুটে যায় তার বাড়িতে। তার উপলক্ষে আরও ১০ জনের মিষ্টি খাওয়া হয়ে যায়। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে কিছু খরচাপাতি করে একটা চাকরি পাওয়া গেছে, প্রথম মাসের মাইনে পাওয়ার পর তাঁর বাড়িতে মিষ্টির ছড়াছড়ি। বিয়ের কথা পাকাপাকি হলে বর-কনে দুই পক্ষের বাড়িই মিষ্টিতে সয়লাব হয়ে যায়। কার ডায়াবেটিস আছে আর কার নেই, তা নিয়ে মাথা ঘামায় না কেউ। প্রমোশন পাওয়ার পরে পদোন্নতির চিঠি এবং কয়েক পাত্র মিষ্টি নিয়ে বাড়ি আসেনি এমন কৃপণ ও বেরসিক মানুষ বাঙালি সমাজে দুর্লভ। সেই সমাজে যদি কেউ কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান, তাঁকে মিষ্টিমুখ করানোর জন্য তাঁর শপথ গ্রহণের দিনটি পর্যন্ত অপেক্ষা করবে—এমন ধৈর্যশীল মানুষকে কল্পনা করাও বোকামি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় কে এম নুরুল হুদাকে তাঁর পটুয়াখালীর বাউফলের বাসায় গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতা মিষ্টি খাইয়ে দেন। অবশ্য নবনিযুক্ত সিইসি প্রথম আলোর সংবাদদাতাকে বলেছেন, ‘তাঁদের কেউই দলগতভাবে ফুল দিতে [বা মিষ্টান্ন খাওয়াতে] আসেননি। তাঁরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। কেউবা আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, কেউবা একই গ্রাম বা ইউনিয়নের। এখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার ছিল না।’রাজনীতির সঙ্গে মিষ্টির সম্পর্ক প্রত্যক্ষ নয়, সম্পর্কটা পরোক্ষ। বস্তুত, রাজনীতির সঙ্গে পরোক্ষ সম্পর্ক কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহারি, খাসির রেজালা, ভুনা খিচুড়ি—অনেক কিছুরই। নির্বাচনের আগের দিন ওসব খাদ্যবস্তু রাজনীতির সঙ্গে একাকার হয়ে যায়।কোনো শুভ মুহূর্তে কাউকে মিষ্টিমুখ করানো দোষের কিছু নয়।নবনিযুক্ত সিইসির মিষ্টান্ন-পর্ব থেকে একটি অতীব জরুরি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে। মিষ্টিমুখ করানোতে যেমন ‘রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার’ ছিল না, তেমনি সিইসির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে বিএনপিপন্থী কেউ নেই। সেই না-থাকাটা বিশেষ ‘রাজনৈতিক ব্যাপার’। এবং তার তাৎপর্য বঙ্গীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরাট।লজিকের ভাষায় হাইপোথেটিক্যালি যদি ধরে নিই যে মিষ্টির পাত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল বা জাসাসের কয়েকজন নেতা যেতেন, তাঁরা নিজের হাতে দুটো রসগোল্লা বা কালোজাম খাইয়ে দিতেন, তাহলে তিনি সে মিষ্টির স্বাদ যা-ই হোক, সানন্দে খেতেন কি না? এখন অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে এমন যে পঞ্চাশের কম বয়সী বহু মানুষ নিজের বিএনপিপন্থী বাবাকে বাপ বলে পরিচয় দিতে সংকোচবোধ করেন। অন্যদিকে ঘোরতর রাজাকার জন্মদাতাকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয় দিতে অনেকেই লেশমাত্র দ্বিধা করে না। এর অর্থ হলো এই, আমাদের সমাজ থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক—মানবিক সম্পর্ক—চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে রাজনীতির দূষিত বাতাসে।বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ নিয়ে গত দুই-আড়াই মাসে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে তা অভূতপূর্ব। ১২১৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেনের রাজার ম্যাগনা কার্টা স্বাক্ষরের পরবর্তী ৮০০ বছরে গণতান্ত্রিক বিশ্বে যা ঘটেনি, তা-ই ঘটেছে বাংলাদেশে ২০১৭ সালে। যে কৃষক শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে রাতের বেলা তাঁর খেতে পানি দেন ও ট্রানজিস্টার শোনেন, অথবা যে কিশোর পিঠে ব্যাগ নিয়ে কলেজে যায়, তার ধারণা হতে পারে, নির্বাচন কমিশন এক বিরাট ব্যাপার। পৃথিবীর খুব মানুষেরই সে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রয়েছে। এবং সে দায়িত্ব যিনি বা যাঁরা পালন করবেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বা কোনো দলের নেতার সঙ্গে তাঁর বা তাঁদের চৌদ্দ পুরুষের তিলমাত্র সম্পর্ক থাকলে তিনি অযোগ্য বা ডিসকোয়ালিফাইড।অনুসন্ধান কমিটি যখন নির্বাচন কমিশনারদের খোঁজে সন্ধানী-আলো নিয়ে ছোটাছুটি করে গলদঘর্ম হচ্ছিল, তখন আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শয্যাগত ছিলাম। ২০-২৫ বছর যাবৎ সুষ্ঠু নির্বাচন-নির্বাচন করে কথা বলে, গলা শুকিয়ে ফেলেছি বলে মিডিয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়েছে। তাঁদের আমি বলেছি, দেশে বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞজনের অভাব নেই। অসুখ-বিসুখের মধ্যে মাথার ঠিক নেই, কিসের মধ্যে কী বলি, আমাকে মাফ করেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেয়ে আমার নিজের গতরতন্ত্র ঠিক রাখা বা সুস্থ থাকা অনেক বেশি জরুরি।প্রচারের জন্য নয়, ব্যক্তিগতভাবে জানার জন্য এক সাংবাদিক আমাকে জানতে চেয়েছিলেন, বর্তমান অবস্থায় নির্বাচন কমিশনারদের অনুসন্ধানে আপনাকে যদি ছুটতে বলা হতো, তাহলে আপনি কী করতেন? আমি বলেছিলাম, ঘরের খেয়ে কেউ আমাকে মোষ তাড়াতে বললে, আমি সম্মত হতাম না। কারণ, একজন নাগরিক হিসেবে ওটা আমার দায়িত্ব নয়। সরকারের কাজ সরকার করবে, তারা কোনো অন্যায় বা ভুল করলে সচেতন নাগরিক হিসেবে কেউ তার সমালোচনা করতে পারে, কিন্তু সরকারের কাজ সরকারকেই করতে দেওয়া উচিত।তারপরও সরকার যদি স্বচ্ছতার স্বার্থে কোনো নাগরিকের সহায়তা বা পরামর্শ চায়, তাহলে সে পরামর্শ দেওয়া নাগরিকের দায়িত্ব। তবে প্রার্থী নির্বাচন করতে গিয়ে গোপনীয়তার লেশমাত্র থাকা উচিত নয়। অনুসন্ধানের দায়িত্ব আমি পেলে অবসরপ্রাপ্ত এবং চাকরিতে রয়েছেন এমন বেসামরিক, সামরিক, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দুই-আড়াই শ কর্মকর্তার জীবনবৃত্তান্ত নিতাম। তাঁদের অতীত পর্যালোচনা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতাম এবং তা থেকে সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করতাম। আমাদের তালিকা নিয়ে সরকারি দল বা সংসদের বাইরের বিরোধী দল কী বলল, তা বিবেচ্য বিষয় নয়।নির্বাচনে কমিশনের কাজটা কোনো বাঘ-ভালুক ব্যাপার নয়, সততা, নৈতিক বল ও প্রশাসনিক দক্ষতা থাকলে যে কেউই নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। মানুষ হিসেবে যদি কেউ সৎ হন এবং থাকে তাঁর নৈতিক বল ও প্রশাসনিক দক্ষতা, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয়ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেন অথবা খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের রক্তসম্পর্কের আত্মীয়ের পক্ষেও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। কথাটি অতিরঞ্জন মনে হবে, কিন্তু আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি, বাংলাদেশে দক্ষ কর্মকর্তার আকালের মধ্যেও অন্তত ৬০টি নির্বাচন কমিশন গঠনের মতো শ তিনেক সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন, যাঁদের দ্বারা সরকার চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।যেকোনো দেশের সাধারণ নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। জনবহুল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি প্রযোজ্য। সেদিন আমি কথাচ্ছলে একজন সাংবাদিককে বলেছিলাম, আমার ছেলেমেয়েদের সহপাঠী উপসচিব বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পর্যায়ের অনেক দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তা আছেন, যাঁদের দায়িত্ব দিলেও ভালো নির্বাচন করতে পারবেন। অনেক উপনির্বাচন করে তা দেখিয়েছেন তাঁরা। উপনির্বাচন সুষ্ঠু হলে অথবা কোনো সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হলে সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু হতে বাধা কোথায়?তবে হ্যাঁ, বাধা আছে। সে বাধা দূর করাই একটি ভালো নির্বাচন কমিশনের কাজ। ভোটের আগের রাতে অথবা ভোটের দিন ‘সিল মারো ভাই সিল মারো’ মার্কা মোটরসাইকেলঅলা ব্রিগেডের সদস্যদের ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে রাখা তাদের দায়িত্ব। পাঁচজন কমিশনার নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারেন না। তাঁরা তদারকি করেন। নির্বাচনের সঙ্গে যে ছয় লাখ কর্মচারী-কর্মকর্তা জড়িত, তাঁদের ওপর নজরদারি করাই নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব। নির্বাচনকালীন সরকারকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন, তাহলে সেই নির্বাচন কমিশন অর্থহীন। কোন দল নির্বাচনের পর সরকার গঠন করবে, সেদিকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দৃষ্টি থাকে। সেখান থেকেই নির্বাচন প্রভাবিত হয়। অতীতে সে রকম ঘটনা আমরা দেখেছি।কথায় কথায় আমরা ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের উদাহরণ দিই। সেশন ব্যক্তি নন, তিনি ভারতীয় উচ্চতর ব্যুরোক্রেসির একজন সেরা প্রতিনিধি মাত্র। তিনি না হলে তাঁর ক্যাডারের অন্য যে কেউই তাঁর মতোই দায়িত্ব পালন করতেন। কারণ তাঁরা জানেন, কী তাঁদের কর্তব্য।বহু বছর আমি ভারতের গান্ধীবাদীদের সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অশোকা গুপ্ত ১৯৪৬ সালে নোয়াখালী নারকীয়তার পরে গান্ধীজির কর্মী বাহিনীর সঙ্গে এসেছিলেন ত্রাণকাজে। কলকাতায় আমি তাঁর বাড়িতে অনেকবার অতিথি হয়েছি। তাঁর স্বামী শৈবাল গুপ্ত ছিলেন গান্ধীজির স্নেহভাজন। সেই সূত্রে বিধানচন্দ্র রায়ের এবং জওহরলাল নেহরুরও। শৈবাল গুপ্তের অগ্রজ বন্ধু সহকর্মী ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন। সুকুমার সেনের বহু গল্প আমি অশোকা গুপ্তের কাছে শুনেছি। তিনি আইসিএস কর্মকর্তা হিসেবে গান্ধী-নেহরু উভয়েরই প্রীতিভাজন ছিলেন। স্বাধীনতার আগে থেকেই তিনি হবু শাসক দল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন আরও অনেক কর্মকর্তার মতো। ১৯৪৭-এর পরে সুকুমার সেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম চিফ সেক্রেটারি হন। ১৯৫০-এ পণ্ডিত নেহরু যখন তাঁকে দিল্লি ডেকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনার হওয়ার প্রস্তাব দেন, তিনি বলেছিলেন, সে দায়িত্ব তিনি নিতে পারেন; যদি তাঁকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার দায়িত্ব দেন। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের কোনো রকম হস্তক্ষেপ তিনি সহ্য করবেন না। নেহরু নাকি বলেছিলেন, আমিও সেটাই চাই বলে আপনাকে নিয়োগ দিচ্ছি। তাঁর অধীনে নির্বাচন করে বড় বড় কংগ্রেস নেতা হেরে গেছেন। কিন্তু ভারতে তিনিই প্রথম ‘পদ্মবিভূষণ’।আমরা শুধু সেশনের নামটা শুনেছি। বাঙালি সুকুমার সেন শুধু ভারতে নয়, গোটা পৃথিবীতে একজন নিরপেক্ষ ও যোগ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১৯৫৩-তে তিনি আন্তর্জাতিক নির্বাচন কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা লাভের আগে সুদানে ১৯৫৩-তে যে গণভোট হয়, তা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতের সুকুমার সেনকে। তিনি ছিলেন একজন কংগ্রেস-সমর্থক কর্মকর্তা। কিন্তু সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার কাছে তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাস পরাভূত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কি আমাদের অন্য কোনো গ্রহ থেকে আনতে হবে সুকুমার বাবুর মতো একজন নির্বাচন কমিশনার?পরিশেষে প্রসঙ্গত একটি কথা বলা প্রয়োজন মনে করি। যেকোনো সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মতোই নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন কখনো শূন্য থাকার কথা নয়। একটির মেয়াদ শেষ হতেই আরেকটি দায়িত্ব গ্রহণ করবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন শপথ নেওয়ার আগে কে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার? এ রকম একটা অবস্থা ভারতে হয়েছিল সেশনের দায়িত্ব গ্রহণের আগে। পেরি শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই সপ্তাহ শ্রীমতী ভি এস রমা দেবী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। খেয়ালখুশি নয়, রাষ্ট্র সাংবিধানিক বিধিমতো চালাতে চাইলে তেমনটিই হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর বহু দেশের সরকারই সংবিধানের বিধিবিধানের পরোয়া করে না।সৈয়দ আবুল মকসুদ: লেখক ও গবেষক। | 293,559 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও রংপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৩:১২ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৩:১৫ | আইন ও বিচার | null | কুনিও হত্যা মামলার তদন্তে নতুন মোড় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/707266 | রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার নয় সপ্তাহ পর মামলার তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে। শুরুতে এ ঘটনায় কুনিও হোশির এক ব্যবসায়িক সহযোগীসহ বিএনপির কয়েকজন স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখন পুলিশ বলছে, এ হত্যায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি জড়িত।মাসুদ রানা (৪০) নামে জেএমবির একজন ‘কমান্ডার’ গত সোমবার রংপুরের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে কুনিও হত্যাসহ রংপুরের সাম্প্রতিক তিনটি হামলার কথা স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তির বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন রংপুরের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল মালেক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।রংপুরে গত ৩ অক্টোবর জাপানি নাগরিক ও ঢাকায় ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালির নাগরিক হত্যায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকতে পারে বলে এর আগে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বলা হয়েছিল। উভয় ঘটনায় ঢাকায় বিএনপির কয়েকজন স্থানীয় নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে। এর মধ্যে ঢাকায় ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যার পরিকল্পনায় ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আবদুল কাইয়ুম জড়িত বলে পুলিশ দাবি করে। কাইয়ুমের ভাইকে গ্রেপ্তারও করা হয়।গতকাল পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যায় জড়িত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাসুদই কুনিওকে গুলি করেছেন। তিনি বলেন, এই মাসুদ গত ১০ নভেম্বর কাউনিয়ায় মাজারের খাদেম রহমত আলীকে হত্যা এবং ৮ নভেম্বর বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমিনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টায় জড়িত ছিলেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, ‘জাপানি নাগরিক হত্যা ঘটনার আলামত ও সাক্ষ্য-প্রমাণ পেয়েছি। আশা করি খুব শিগগির প্রকৃত ঘটনা আপনাদের জানাতে পারব।’মাসুদ রানাকে কবে, কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে ডিআইজি কিছু বলেননি। পুলিশসহ স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মাসুদ রানার বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামে। তাঁকে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।এই দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট) ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দায় স্বীকার করে। সাইট নামে একটি মার্কিন নজরদারি সংস্থার বরাতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে এ খবর বের হলে বাংলাদেশ সরকার তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে।কুনিও হত্যা মামলায় এর আগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র্যা ব। তাঁরা হলেন কুনিওর ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ুন কবির (হীরা), রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী খান ওরফে বিপ্লব, মহানগর যুবদলের সদস্য রাজীব হাসান ওরফে মেরিল সুমন, শহরের জুম্মাপাড়ার নওশাদ হোসেন ওরফে ব্ল্যাক রুবেল ও শালবন মিস্ত্রিপাড়ার কাজল চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভরসা কাজল। তাঁদের মধ্যে রাশেদ-উন-নবী হলেন বিএনপির ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিব-উন-নবী খানের (সোহেল) ভাই। এ ঘটনায় তখন হাবিব-উন-নবী খানকে খুঁজেছিল পুলিশ। তিনি আত্মগোপনে আছেন।রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় মাজারের খাদেম হত্যা ও রংপুরে বাহাই সম্প্রদায়ের এক নেতাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এর আগে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাদেম হত্যায় গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি হলেন কাউনিয়ার মধুপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সদস্য মোর্শেদ আলী, শহিদুল ইসলাম ও আবু রায়হান ওরফে রঞ্জু। বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী রুহুল আমিন হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান ওরফে নয়ন, শহরের ধাপ এলাকার আবু রায়হান ও সজলকে।এখন তিনটি ঘটনাতেই জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জেএমবির ‘আঞ্চলিক কমান্ডার’। এ অবস্থায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে পুলিশ কী করবে? জানতে চাইলে গতকাল রংপুরের ডিআইজি সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তিনি কেবল বলেন, ‘এসব ঘটনার সঙ্গে একটি বিরাট সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। সবকিছুই বেরিয়ে আসবে।’কুনিও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, পীরগাছা উপজেলার আরও দুজন জেএমবির জঙ্গি গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। তাঁদের শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে।কুনিও হত্যা মামলায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে যাঁরা কারাগারের বাইরে আছেন, তাঁরা আত্মগোপনে, মুঠোফোনও বন্ধ।কুনিও হোশির হত্যায় জেএমবি জড়িত থাকার খবর প্রকাশের পর ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যার তদন্তও নতুন করে আলোচনায় এসেছে।আইএসের নিজস্ব সাময়িকী দাবিক-এর সর্বশেষ সংস্করণে (১৮ নভেম্বর অনলাইনে প্রকাশিত) দুই বিদেশি হত্যাসহ চারটি ঘটনায় আইএসের দায় স্বীকার করা হয়। একই সঙ্গে জেএমবির প্রশংসা ও এর প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমানকে ‘শহীদ মুজাহিদ’ আখ্যা দেওয়া হয়। অপর দুটি হলো ঢাকায় হোসেনি দালানে ও আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যার ঘটনা।দাবিক-এর এ দাবিও বরাবরের মতোই সরকার ও পুলিশ প্রত্যাখ্যান করে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব বা সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। তাবেলা হত্যায় বিএনপি নেতা কাইয়ুম জড়িত। তাঁর ভাইকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।এ অবস্থায় ঢাকায় সিজার তাবেলা হত্যা মামলার তদন্ত আবার নতুন মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না—জানতে চাইলে মামলার তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. মাহফুজুল ইসলাম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে সিজার তাবেলা হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। রংপুরের প্রেক্ষাপটে এখন পর্যন্ত তাবেলার মামলার তদন্তে অন্য কিছু তাঁরা ভাবছেন না।তদন্তসংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, সিজার তাবেলা হত্যায় বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র তৈরি হচ্ছে। বাকি ছয়জন হচ্ছেন কাইয়ুমের ছোট ভাই এম এ মতিন, তামজিদ আহম্মেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফ ও ভাঙারি সোহেল। তাঁরা সবাই বাড্ডা এলাকার বিএনপির কর্মী-সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তাঁদের মধ্যে এম এ কাইয়ুম ও ভাঙারি সোহেল ছাড়া সবাই গ্রেপ্তার আছেন। আর তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ও শাখাওয়াত হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।যদিও মতিন, তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াতের স্বজনেরা দাবি করে আসছেন, ওই পাঁচজন তাবেলা হত্যায় জড়িত নন। ডিবি ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছে। | 181,688 |
নাফিসা বিনতে আসিফ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৪ | ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৪ | রাজশাহী বিভাগ,রাজশাহী | 0 | দূষণ ও অস্থিরতা মুক্ত দেশ চাই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/412378 | জীবনের প্রথম পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রথমে ভেবেছিলাম ভয় লাগবে। কিন্তু শিক্ষকেরা সাহস দিয়েছেন। পরীক্ষার হলের পরিবেশটাও ভালো ছিল। তাই ভয় পাইনি। গত বছরটা খুব ভালো কেটেছে। মা, বাবা, শিক্ষক ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আমার দারুণ কেটেছে। তবে হরতালের কারণে অনেক দিন স্কুলে যেতে পারিনি। ঝামেলা হয়েছে। এটা ভালো লাগেনি।আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব ভালো ছিল, কিন্তু পরীক্ষার হলে গিয়ে যখন শুনলাম প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, তখন মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। গত এক বছরে এর চেয়ে খারাপ লাগার কিছু ছিল না।চারদিকে যেভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, তা দেখে মন খারাপ হয়। তার চেয়েও বেশি মন খারাপ হয় দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখে। আমার অবসরে ছবি আঁকতে ভালো লাগে। আর আমি বড় হয়ে একজন ভালো চিকিৎসক হতে চাই।নাফিসা বিনতে আসিফ, রাজশাহী পিএন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে| | 103,385 |
মুনির হাসান | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৪ মার্চ ২০১৮, ১৯:২৮ | ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৩:০৩ | স্টিফেন হকিং,জেনে নিন | null | হকিং কেন নোবেল পুরস্কার পাননি! | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1450116 | না, শেষ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার পাওয়া হলো না স্টিফেন উইলিয়াম হকিংয়ের। আজ মারা যাওয়ার পর তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সব সম্ভাবনাও রদ হয়ে গেল। কারণ, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার প্রথম শর্তই হলো জীবিত থাকা!আর একটু সময় পেলে হয়তো হকিং নোবেল পুরস্কার পেলেও পেতে পারতেন। বছর খানেক আগের কিছু কিছু ঘটনা ও পরীক্ষার ফলাফল দেখে মনে হয়েছিল ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে ঘটনাটি ঘটতেও পারে।নোবেল পুরস্কার নিয়ে হকিংয়ের আগ্রহের কথা অনেক শোনা যায় সর্বশেষ বছর কয়েক। এক বড় মিলনায়তনে বক্তৃতা করছেন হুইলচেয়ারের বিজ্ঞানী। স্লাইডের পর স্লাইড আসছে, কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ করে সবাই নড়েচড়ে বসলেন। কারণ, পর্দায় বড় করে একটা নোবেল পুরস্কারের ছবি! শোনা গেল, হকিংয়ের ধাতব কণ্ঠস্বর— যদি কম ভরের কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কৃত হয়, তাহলেই আমি নোবেল পুরস্কার পেয়ে যাব।’আলফ্রেড নোবেল যখন তাঁর পুরস্কারের উইল করেছিলেন, তখন সেখানে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেন। বড় অংশ জুড়ে ছিল ‘ব্যবহারিকভাবে প্রমাণিত’—এই বাক্যটি। আর এ কারণে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানীদের এই পুরস্কারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘদিন। আইনস্টাইনও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। নোবেল কমিটি আইনস্টাইনকে পুরস্কার দিয়েছে ১৯২২ সালে, ১৯১৯ সালের সূর্যগ্রহণের সময় আর্থার এডিংটনের পর্যবেক্ষণের পর এবং শেষ পর্যন্ত পুরস্কারের বর্ণনায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আলোর তড়িৎ ক্রিয়ার ব্যাপারটাও জুড়ে দেন। বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক মন্তব্যে হকিং ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বলেছিলেন, তিনি এমনভাবে কাজ করছেন, যাতে কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে তাঁর কাজটা সত্য বলে প্রমাণিত হতে পারে। একই বছর আগস্টে নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধের ফলাফল সত্য হলে হকিংয়ের এই অপেক্ষার পালার অবসান হতে পারত।নোবেল পুরস্কার ছাড়া আর সব পুরস্কার ও স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি আছে, তাঁর নামে একটা ভবনও আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনেও তাঁর একটি মূর্তি আছে। এল সালভাদরের রাজধানী সান সালভাদরের বিজ্ঞান জাদুঘরটির নাম স্টিফেন হকিং বিজ্ঞান জাদুঘর। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রানি তাঁকে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার এবং অর্ডার অব দ্য কম্প্যানিয়ন অনারে ভূষিত করেছেন। আমেরিকার আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদক। পেয়েছেন বেশ কটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার, যার মধ্যে রয়েছে তত্ত্বীয় পদার্থবিদদের সর্বোচ্চ সম্মান আলবার্ট আইনস্টাইন পদক। ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে, তাঁর পুরোনো অক্সফোর্ডসহ। আর ১৯৭৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হকিংকে বানায় গণিতের লুকাসিয়ান প্রফেসর, একসময় যে পদ অলংকৃত করেছিলেন স্যার আইজ্যাক নিউটন। ২০০৯ সালে আবার এই পদে যোগ দেন। এর আগে ১৯৭৪ সালেই রাজকীয় বিজ্ঞান সমিতির ফেলো হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পেয়েছেন বিবিভিএ ফাউন্ডেশন ফ্রন্টিয়ার অব নলেজ অ্যাওয়ার্ড।সত্যি কথা বলতে, কেবল নোবেল পাওয়াটাই বাকি ছিল তাঁর, সেটি আর হবে না!হকিংকে নোবেল পুরস্কার দিতে না পারার একটা কারণ হলো বাস্তবে একটা ব্ল্যাকহোল থেকে হকিং বিকিরণ বের হয়ে আসছে কি না, সেটা মাপার মতো কারিগরি দক্ষতা এখনো মানুষের আয়ত্ত হয়নি। তাহলে বাকি থাকে ল্যাবরেটরিতে একটা ব্ল্যাকহোল বানানো! সেটার একটা সম্ভাবনা ছিল ইউরোপের সার্নে অবস্থিত লার্জ হেড্রন কলাইডারে। সেখানে কণাদের মারামারি-ধাক্কাধাক্কিতে খুবই ছোট ব্ল্যাকহোল সৃষ্টি হতেও পারে। যদিও এখনো তার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল কিছুদিন আগে। ১৯৮০ সালে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী বিল আনরু হকিং বিকিরণ পরীক্ষা করার একটি ভিন্ন পদ্ধতি প্রস্তাব করেন। তিনি এমন একটি মাধ্যমের কথা ভাবলেন, যা কিনা ত্বরিত গতিতে চলমান। জলপ্রপাতের বেলায় এটি দেখা যায়। জলপ্রপাতের একটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছালে কোনো সাঁতারুই এমন গতিতে সাঁতার কাটতে পারে না, যা জলপ্রপাতের আকর্ষণকে নাকচ করতে পারে। ফলে সে যেমন সাঁতারু হোক না কেন, তাকে জলপ্রপাতে আত্মসমর্পণ করতেই হয়। আনরুর বক্তব্য ছিল, এটিই একটি ঘটনা দিগন্ত। কাজেই শব্দের জন্য যদি কোনো ‘ব্ল্যাকহোল’ বানানো যায়, তাহলেই হকিং বিকিরণ সেখানেও দেখা যাবে।২০১৬ সালে বিজ্ঞানী স্টেইনহওয়ার ঠিক এই কাজটা করেন। তিনি রুবিডিয়াম পরমাণুর একটি মেঘমালার তাপমাত্রাকে নিয়ে গেলেন পরম শূন্যের (-২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সামান্য ওপরে। ফলে রুবিডিয়াম পরমাণুর মেঘমালাটি চলে যাচ্ছে বোস-আইনস্টাইন ঘনায়ন (BEC-Bose-Einstein Condensate) নামের এক কোয়ান্টাম স্তরে। সেগুলোকে দিয়ে বানানো হলো সিগারের মতো লম্বা একটি আকৃতি, যা কিনা মাত্র কয়েক মিলিমিটার লম্বা। এতে শব্দের গতিবেগ দাঁড়াল সেকেন্ডে আধা মিলিমিটারের মতো। তারপর তিনি ওই পরমাণুগুলোকে ত্বরণ দিয়ে এমন অবস্থায় আনলেন, যার ফলে কোনো কোনো কণার গতিবেগ হয়ে গেল সেকেন্ডে এক মিলিমিটারের বেশি। ফলে তৈরি হয়ে গেল শব্দের জন্য একটি ঘটনা দিগন্ত! আর ওই স্বল্প তাপমাত্রায় বিইসি খুবই দুর্বল কোয়ান্টাম চাঞ্চল্যের ভেতর দিয়ে যায়। এর ফলে সেখানে তৈরি হয় শব্দের জোড়া কণা, ফোনোন। ব্ল্যাকহোলে যেমনটি হয় ফোটন কণা। আর এই ফোনোন কণার একটা হারিয়ে যাচ্ছে বিইসির এক পাশে, আর অন্য পাশে আবির্ভূত হচ্ছে অপরটি। স্টেইনহওয়ারের মতে এর একটাই অর্থ, বিইসি থেকে বের হয়ে আসছে হকিং বিকিরণ!বিজ্ঞানীরা স্টেইনহওয়ারের এই ব্যাপারটিতে নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে, সবাই এটি মেনেছেন যে স্টেইনহওয়ারের পরীক্ষা সফল হওয়ার মানেই হচ্ছে হকিং বিকিরণ প্রমাণিত হওয়া। আর তাই অনেকেই এই পরীক্ষণটি নিজেরা করবেন বলে ঠিক করেছেন, অনেকেই শুরুও করেছেন। কিন্তু গত দেড় বছরে আর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। | 357,862 |
-1 | education | শিক্ষা | ০২ মে ২০১৭, ০০:০৪ | ০২ মে ২০১৭, ০০:০৪ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি ১ম পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/1094245 | ইকবাল খানইউনিট-১, লেসন-২(বি)প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের ইউনিট-১, লেসন-২(বি) নিয়ে আলোচনা করা হলো।Read the text carefully and answer the questions 1, 2 and 3.Nakshi kantha is a kind of embroidered quilt. The name was taken from the Bengali word, ‘naksha’ which means artistic pattern. It is a kind of traditional craft and is said to be indigenous to Bangladesh and West Bengal in India. The art has been practiced in rural Bengal for centuries. The name ‘Nakshi kantha’ became popular after the poet Jasimuddin’s poem ‘Nakshi Kanthar Math’ was published in 1929.Traditional kanthas are made for family use. Old or new cloth and thread are used to make these quilts. Mymensingh, Jamalpur, Rajshahi, Faridpur, Bogra and Jessore are most famous for this craft. Now it is produced commercially. You can find them in many expensive handicraft shops in cities. The quilts are now in great demand because of the colorful patterns and designs embroidered on them.1. Choose the best answer from the alternatives.a. The name ‘Nakshi Kantha’ was derived from the word ╛.i. English ii. Bengali iii. Hindi iv. Frenchb. This art has been continuing for ╛.i. generations ii. centuries iii. years iv. agesc. The word ‘indigenous’ refers to ╛.i. foreign ii. native iii. hand-made iv. indigestibled. ‘Nakshi Kantha’ becomes popular for its ╛.i. beauty ii. high price iii. advertisement iv. low pricee. It is made ╛ old or new cloths.i. used ii. using iii. uses iv. all the aboveAnswer to the question no-1a. ii. Bengali; b. ii. centuries; c. ii. native;d. i. beauty; e. ii. using.2. Give short answers to the following questions.a. What is Nakshi Kantha?b. What are used to make Nakshi Kantha?c. Why are the traditional Kanthas made?d. How did the name ‘Nakshi Kantha’ become popular?e. Which districts are most popular for Nakshi Kantha?Answer to the question no-2a. Nakshi Kantha is a kind of embroidered quilt.b. Old or new cloth and thread are used to make Nakshi Kantha.c. The traditional kanthas are made for family use.d. The name ‘Nakshi Kantha’ became popular after the poet Jasimuddin’s poem ‘Nakshi Kanthar Math’ was published in 1929.e. Mymensingh, Jamalpur, Rajshahi, Faridpur, Bogra and Jessore are most popular for Nakshi Kantha.3. Read the text in A again. Now, write the summary of it in around 50 words.Answer to the question no-3This lesson deals with Nakshi Kantha, a traditional craft of Bangladesh and West Bengal in India. This is a kind of embroidered quilt. The art of making Nakshi Kantha has been practised in rural Bengal for centuries. Traditional Kanthas are made for family use. However, now-a-days it is produced for commercial purpose and is found in expensive handicraft outlets.শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | 314,872 |
প্রতিনিধি, যশোর | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ মে ২০১৯, ১৬:৩৬ | ২৫ মে ২০১৯, ১২:৪৬ | যশোর,খুলনা বিভাগ,অর্থনীতি,অভয়নগর,কৃষি | 0 | যশোরের ২ পাটকলের কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1595519 | যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাটের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ ও কার্পেটিং জুট মিলসের কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শ্রমিকেরা। বকেয়া মজুরির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে পাটকল দুটির কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের ভেতরে রেখে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ৬৫ জন কর্মকর্তা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। শ্রমিকেরা কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন। বেলা তিনটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। টানা ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেওয়ায় গতকাল বুধবার সকাল ছয়টা পাটকল দুটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে।মজুরি কমিশন গঠনসহ ৯ দফা দাবিতে ৫ মে রাত নয়টা থেকে পাটকল দুটির উৎপাদন বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা। পাটকল বন্ধ রেখে শ্রমিকেরা প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে যশোর-খুলনা মহাসড়ক এবং খুলনা-ঢাকা রেলপথ অবরোধ করেন। তাঁরা ৭ মে থেকে মহাসড়কের ওপর ইফতার এবং আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।শ্রমিকেরা জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসন, বিজেএমসি ও শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্দোলন স্থগিত করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত হয়, চলতি সপ্তাহে দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি এবং এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো বকেয়া মজুরি দেওয়া হবে। এ ছাড়া বুধবার বন্ধ মিলগুলোতে জরুরিভাবে কর্মরত শ্রমিকদের হাতে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করে পে স্লিপ দেওয়া হবে। এরপর আন্দোলন স্থগিত করা হয়। কিন্তু এ দাবি মানা হচ্ছে না। গতকাল বুধবার কর্মরত শ্রমিকদের হাতে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করে পে স্লিপ দেওয়া হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিন। সাধারণত সপ্তাহের শেষ দিনে মজুরি প্রদান করা হয়। কিন্তু আজ প্রতিশ্রুত দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি প্রদান করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ জন্য আজ সকাল থেকে পাটকল দুটির কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের ভেতরে রেখে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের ভেতরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দাবি মানা না পর্যন্ত তালা খোলা হবে না।যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ সিবিএর সহসম্পাদক ইসরাইল সরদার বলেন, ‘আমাদের ১৪ সপ্তাহের মজুরির বকেয়া রয়েছে। আজ সকালে আমাদের দুটি বিলের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে এসে শুনতে পাই, আমাদের কোনো টাকা দেওয়া হবে না। সে কারণে আমরা ডিজিএমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভেতরে রেখে প্রধান কার্যালয়ে তালা দিয়ে সামনে অবস্থান নিয়েছি।’যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বারবার দাবি মানার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দাবি মানা হচ্ছে না। আমাদের পেটে ভাত নেই। দাবি না মানা পর্যন্ত তালা খোলা হবে না।’কার্পেটিং জুট মিলসের শ্রমিক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’মজুরি কমিশন গঠনসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ পাটকলে ধর্মঘট ও মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক–কর্মচারীদের পি এফ গ্র্যাচুইটি প্রদান, মৃত শ্রমিকের বিমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন ও বরখাস্ত হওয়া শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাট ক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে আধুনিকায়ন করা।যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজে ১ হাজার ৪০০ জন শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের ১৪ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কার্পেটিং জুট মিলসে ৭৫০ জন শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের ১৪ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজের উপমহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সকাল নয়টা থেকে ৪৫ জন কর্মকর্তাসহ আমি নিজেও পাটকলের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে আছি। কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিজেএমসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এবং পুলিশকে জানানো হয়েছে। থানার ওসি এসে ঘুরে গেছেন।’কার্পেটিং জুট মিলসের উপমহাব্যবস্থাপক (হিসাব) চন্দ্রকান্ত বৈরাগী বলেন, ‘মূল ফটকে শ্রমিকেরা তালা দেওয়ায় কার্যালয়ের অভ্যন্তরে আমরা ২০ কর্মকর্তা আটকা পড়েছি। বিজেএমসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানোর পর তাঁরা জরুরি বৈঠকে বসেছেন। পাটকলে পুলিশ এসে ঘুরে গেছে।’অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে দুটি পাটকলে গিয়েছি। পাটকল দুটির কর্মকর্তা ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শ্রমিকের শান্ত থাকতে বলেছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’ | 403,195 |
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৫১ | ২৯ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৫৩ | ঈশ্বরদী,পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | পঙ্গু হতে বসেছেন মর্জিনা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/204409 | কবিরাজের অপচিকিৎসায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ার নওদাপাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম নামে এক গৃহবধূ পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তাঁর হাত-পা ভেঙে গেলে কবিরাজের ঝাড়ফুঁকে হাড় আরও স্থানচ্যুত হয়ে অনেকটা অকেজো হয়ে গেছে।নওদাপাড়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, গত ২১ জানুয়ারি ভটভটিতে করে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার সময় অপর একটি ভটভটির আঘাতে তাঁর স্ত্রী মর্জিনার ডান পা ও হাত ভেঙে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে ঈশ্বরদী হাসপাতাল থেকে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে করে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার সময় গাড়ির চালক একজন ভালো কবিরাজের কথা বলেন। কম খরচে ও অল্প সময়ে হাড় জোড়া লাগানোর কথা বলে চালক তাঁদের নাটোরের লালপুর উপজেলার ইসলামপুরে লাহাব উদ্দিন নামে এক কবিরাজের কাছে নেন।মর্জিনা বেগম বলেন, কবিরাজের আস্তানায় তিনি ৪৩ দিন ছিলেন। প্রথম কয়েক দিন ভাঙা হাত-পায়ে গাছের ছাল-বাকল-লতাপাতা লাগিয়ে রাখা হয়। তারপর টানা ছয় দিন হাত ও পায়ের দুই পাশে ইট দিয়ে চেপে রাখা হয়। পরে প্রতিদিন চলতে থাকে ঝাড়ফুঁক-মালিশ। এত কিছুর পরও সুস্থ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাড়ি চলে আসেন। চিকিৎসার খরচ হিসাবে ১৩ হাজার ও অন্যান্য খরচ বাবদ সেখানে আরও ২৭ হাজার টাকা ব্যয় হয় তাঁর।মর্জিনা বেগম আরও বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁর হাড় ভাঙা জোড়া লাগেনি। অন্যের সাহায্য ছাড়া এখন তিনি চলাফেরাই করতে পারেন না।এদিকে কবিরাজ লাহাব দাবি করেন, তাঁর চিকিৎসা ঠিকই ছিল। কিন্তু রোগ ভালো না হলে তাঁর কিছু করার নেই। এ কবিরাজ যুক্তি দেখান, অনেক বড় ডিগ্রিধারী চিকিৎসকও অনেক সময় রোগ ভালো করতে পারেন না।ঈশ্বরদী ৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক আতাউর রহমান বলেন, এক্স-রে করে দেখা গেছে, মর্জিনা বেগমের ভেঙে যাওয়া হাত ও পায়ের হাড় জোড়া লাগার পরিবর্তে আরও স্থানচ্যুত হয়ে গেছে। তাঁর ভাঙা পা ছোট ও বাঁকা হয়ে গেছে। সেগুলো শক্তিহীন হয়ে পড়ায় কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন ওই গৃহবধূ। অপচিকিৎসা আর মালিশে হাড়গুলো এভাবে স্থানচ্যুত হয়েছে। আতাউর বলেন, জরুরিভিত্তিতে মর্জিনা বেগমের দুটি অস্ত্রোপচার দরকার। তাহলে তিনি হয়তো কিছুটা ভালো ফল পেতে পারেন। | 69,482 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১০ জুন ২০১৬, ১৮:০০ | ১০ জুন ২০১৬, ১৮:৩৪ | টেলিভিশন | 0 | ছাদের ওপর ‘কানামাছি’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/883849 | উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটা বাড়ি। সাততলা। শুটিং চলছে দোতলায়। এমন তথ্য নিয়ে রাত আটটার পরে যখন দোতলায় পা রাখা হলো, তখন সেখানে কিছুই নেই। না কোনো তারকা, না পরিচালক। যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে কয়েকটা লাইট, ককশিট ও অগোছালো বৈদ্যুতিক তার। দাঁড়িয়ে থাকা একজনকে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, কানামাছি তো ছাদের ওপর!ছয়তলা পর্যন্ত লিফট আর বাকিটা সিঁড়ি পেরিয়ে যাওয়া হলো ছাদের ওপর। কিন্তু সেখানেও শুটিং নেই। সাপের মতো প্যাঁচানো সিঁড়ি গলে আরও একধাপ উঠতে হলো শুটিং দেখতে। ছাদের ওপর ছোট ছাদ বললে ভুল হবে না। সেখানেই রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন অভিনয়শিল্পী মিশু সাব্বির ও শবনম ফারিয়া। পরিচালক অ্যাকশন বলতেই শুরু হলো দুজনের সংলাপ। খোলা আকাশের নিচে এলোমেলো বাতাসে সে সংলাপ ছড়িয়ে গেল চারদিকে।নাটকের নাম ‘কানামাছি’। রচনা ও পরিচালনা হিমেল আশরাফের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার আশপাশের এলাকায় শুটিং শেষ করে এখন চলছে উত্তরায়। শবনম, মিশু সাব্বিরের সঙ্গে আছেন তৌসিফ মাহবুব ও নোভা।হিমেল আশরাফ বললেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বন্ধুত্ব ও প্রেম নিয়ে গল্প। তবে এর মধ্যে উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সবই।’‘কানামাছি’ নির্মিত হচ্ছে ঈদের জন্য। | 230,729 |
হাসান ফেরদৌস | opinion | মতামত | ০৯ জুলাই ২০১৭, ০১:০২ | ০৯ জুলাই ২০১৭, ০১:০৩ | খোলা চোখে,হাসান ফেরদৌস,আন্তর্জাতিক | null | ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল ভারত | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1243476 | ইসরায়েলে বেড়াতে এসে প্রায় নায়কোচিত সংবর্ধনা পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জানি দোস্তের মতো বুকে জড়িয়ে ধরেছেন, তাঁর সঙ্গে সমুদ্রতীরে খালি পায়ে হেঁটে বেড়িয়েছেন, ফিরে এসে ফেসবুকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। ইসরায়েল সফরে আসা তিনিই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এত দিন পর্যন্ত ভারত নিজেকে ফিলিস্তিনের একজন অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পরিচিত করাতেই ভালোবাসত। কিন্তু ইসরায়েল সফরে এসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী চোখ তুলে তাকালে দেখা যায় যে রামাল্লাহ, সেখানে যাওয়ার কোনো চেষ্টাও করেননি তিনি।মুখে মুখে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আমৃত্যু বন্ধুত্বের কথা বললেও ভারত দীর্ঘদিন থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে নিকট সম্পর্ক নির্মাণ করে এসেছে। আগ্রহটা উভয় পক্ষেরই। তৃতীয় বিশ্বে ইসরায়েলের বন্ধুর সংখ্যা হাতে গোনা। ভারতের মতো দেশকে বন্ধুর তালিকায় নাম লেখানো গেলে তার কৌশলগত লাভ হবে, এই যুক্তিতে ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বেন গুরিয়েন ভারতকে কাছে টানতে কম চেষ্টা করেননি। পণ্ডিত নেহরুর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব ছিল, চিঠি চালাচালি ছিল। শোনা যায়, বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে দিয়ে পর্যন্ত বেন গুরিয়েন চেষ্টা করেছিলেন দুই দেশকে কাছে আনতে। নেহরুর সময়েই ভারত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়, যদিও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে আরও ৪৪ বছর লেগে যায়। ১৯৯২ সালে নরসিমা রাওয়ের সময় এ দুই দেশ তাদের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে, যদিও তলে তলে এই পুরো সময় ধরেই দুই দেশ তাদের সম্পর্ক ঠিকই টিকিয়ে রাখে। এই সম্পর্কের কেন্দ্রে ছিল সামরিক সহযোগিতা।আগাগোড়া মস্কোই ছিল ভারতের প্রধান সামরিক সরবরাহকারী। এখনো সে ভারতের এক নম্বর অস্ত্র সরবরাহকারী। ঠিক তার পরেই স্থান ইসরায়েলের। প্রথম দিকে মস্কোর কাছ থেকে যে টুটা-ফুটা অস্ত্র ভারতের মিলেছিল, তা দিয়ে চীন ও পাকিস্তানকে ঠেকানো তার জন্য কঠিন হবে—এ কথা ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পর নেহরু বুঝতে পেরেছিলেন। তিনিই উদ্যোগী হয়ে বেন গুরিয়েনকে চিঠি লিখেছিলেন ইসরায়েলি অস্ত্রের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে। বস্তুত, তখন থেকেই এ দুই দেশের সামরিক সহযোগিতার ভিত রচিত হয়। পরবর্তীকালে নিজের সামরিক খাত আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ভারত ইসরায়েলের কাছ থেকে কৌশলগত অস্ত্র আমদানিতে অধিক মনোযোগী হয়ে ওঠে। কংগ্রেস আমলে শুরু হওয়া এই সহযোগিতা মোদি আমলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে। বর্তমানে ইসরায়েল থেকে ভারতের সমরাস্ত্র আমদানির পরিমাণ অর্থের হিসাবে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ভারতের বেশি আগ্রহ ইসরায়েলের অত্যাধুনিক সামরিক বিমান হামলা মোকাবিলায় সক্ষম আকাশ সুরক্ষাব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম)। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ইসরায়েলের অভিজ্ঞতা রয়েছে, ভারত সেই কৌশল আয়ত্ত করতেও আগ্রহী।এত দিন ভারত ইসরায়েলের সঙ্গে তার সম্পর্কের ব্যাপারটা কিছুটা লুকিয়ে-ছাপিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। এখন তার আর প্রয়োজন নেই, কারণ খোদ আরব দেশগুলোই ইসরায়েলের সঙ্গে নিকট বন্ধুত্ব পাতাতে উঠেপড়ে লেগেছে। মুখে যা-ই বলুক, আরবদের মধ্যে এমনিতে খুব একটা আত্মীয়তা কোনোকালেই ছিল না। একমাত্র যে প্রশ্নে তারা নিজেদের মধ্যে ঐক্যবন্ধন নির্মাণ করতে সক্ষম হয়, তা ওই ফিলিস্তিন প্রশ্নে; তা–ও মুখ্যত যার যার দেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ চাপের কারণেই। এখন তা–ও ভেঙে পড়েছে।এই সব দেশের কোনোটিতেই গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। পাঁচ বছর আগে তথাকথিত ‘আরব বসন্ত’ যে বিপ্লবের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছিল, তার ফলে এক তিউনিসিয়া ছাড়া অন্য কোনো আরব দেশে গণতন্ত্র আসেনি। ‘বিপ্লব’ থেকে সবক নিয়ে এসব দেশের একনায়ক শাসকেরা গণতন্ত্র বিষয়টা যেকোনো মূল্যে ১০ হাত দূরে রাখার ব্যাপারে এখন দৃঢ় সংকল্প। গণতন্ত্র মানেই তাঁদের রাজত্ব শেষ, অতএব যেভাবে পারো গণতন্ত্র ঠেকাও। এ জন্য যদি ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মেলাতে হয়, তাতেও আপত্তি নেই।সৌদি আরব ও উপসাগরীয় আমির শাহিরা বরাবরই নিজেদের তেলের পয়সায় কেনা অস্ত্রের জোরে তাঁদের বাদশাহি টিকিয়ে রেখেছেন। এক দশক ধরে তেলের দাম কমছে, কমতে কমতে তা এখন তলানিতে ঠেকেছে। এরই মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আইএস। সুন্নি হলেও আইএস ইসলামি জগতের নেতা হিসেবে সৌদি বাদশাহর নেতৃত্ব স্বীকার করে না, তাদের চূড়ান্ত রাজনৈতিক লক্ষ্য জেদ্দা পর্যন্ত ধাওয়া করা। অন্য বিপদ ইরান। অনেক আগে থেকেই আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছে এই শিয়াপ্রধান দেশটি তাদের গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে রয়েছে। ইরানের প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের শিয়া জনগোষ্ঠী বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে। বাহরাইন ও ইয়েমেনে শিয়াদের অংশগ্রহণে সামরিক প্রতিরোধও ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের বাদশাহিতন্ত্রের জন্য প্রধান অগ্রাধিকার হয়ে ওঠে আইএস ও ইরানকে ঠেকানো।ঠিক এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল ইসরায়েল। ইরান ও আইএস দুটিই ইসরায়েলের শত্রু। সৌদি ও উপসাগরের দেশগুলো হিসাব করে দেখেছে, ইরান ও আইএসকে ঠেকাতে হলে সবচেয়ে ফলপ্রসূ পথ হলো এই ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, তা গোপনে হোক বা প্রকাশ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের পর সব পক্ষের জন্যই পথটা অধিক প্রশস্ত হয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের ব্যাপারে যথেষ্ট নমনীয়—এমন একটা ধারণা ইসরায়েল ও আরবের একনায়কদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। ট্রাম্প ঠিক উল্টো, তিনি সম্ভব হলে আজই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েন। অতএব, অভিন্ন শত্রু ইরান ও আইএসের বিরুদ্ধে অনায়াসে এককাট্টা হয়ে গেল আমেরিকা, আরব একনায়কতন্ত্র ও ইসরায়েল।এই নতুন মেরুকরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো ফিলিস্তিনিদের। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আর বন্ধু রইল না। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের প্রধান চাঁদা প্রদানকারীর ভূমিকা গ্রহণ করেছিল কাতার। আরব একনায়কতন্ত্র সেই কাতারেরও বিরুদ্ধে, কারণ কাতার আল-জাজিরা নামক অপেক্ষাকৃত স্বাধীন একটি স্যাটেলাইট টিভির জন্য অর্থ জোগান দিয়ে থাকে, যার ওপর সৌদি বাদশা অত্যন্ত নাখোশ। ইরানের সঙ্গেও কাতারের মধুর সম্পর্ক। অতএব, সেই কাতারকে একঘরে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সৌদি আরব ও তার উপসাগরীয় বন্ধুরা।আরব দেশগুলোর মতো ভারতও যে ফিলিস্তিনিদের এড়িয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে, রামাল্লাহর ফিলিস্তিন প্রশাসনের জন্য তা গভীর বেদনাবহ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত ইসরায়েলে বেড়াতে এলে এক-আধ ঘণ্টার জন্য পশ্চিম তীর ঘুরে যান। এ বছরের মে মাসে মহা সাড়ম্বরে ট্রাম্প ইসরায়েলে এসেছিলেন, তিনিও সে সময় বেথলেহেমে এসে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করে যান। অথচ মোদি সে–মুখো হননি, আব্বাসকে টেলিফোনে দু-চার কথা বলারও প্রয়োজন দেখেননি।সন্দেহ নেই, আরব দুনিয়ার বিভক্তি ফিলিস্তিন প্রশ্নে ভারতকে পথ বদলাতে সাহায্য করেছে। দেশের ভেতরেও এই পথ পরিবর্তনে সমর্থন রয়েছে। ভারতের অধিকাংশ মানুষের ধারণা, পাকিস্তানকে ঠেকাতে হলে চাই ইসরায়েলি প্রযুক্তি। সে কারণে দু-চারজন বামপন্থী কলাম লেখক ছাড়া মোদির এই সফরে আপত্তির কারণ দেখেননি কেউই। গত তিন দশকে ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসরায়েলের সহযোগিতা অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে। ফলে পেশাদারি বুদ্ধিজীবীরাও রাজনীতি ও আদর্শের বদলে নগদ পাওনাকেই বেশি গুরুত্ব দেবেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।তবে ভারত-ইসরায়েলের এই প্রকাশ্য বন্ধুত্ব ফিলিস্তিনিদের জন্য পুরোপুরি দুঃসংবাদ না-ও হতে পারে। ভারতসহ অধিকাংশ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে, বিশেষ করে আরব বিশ্বে, ফিলিস্তিন প্রশ্নে এখনো প্রবল জনসমর্থন রয়েছে। ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনে নতুন করে হামলা চালায় অথবা বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, তার ফলে এসব দেশে রাজনৈতিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। অনুমান করি, সেই বিবেচনা থেকে ইসরায়েল ভারত অথবা নতুন বন্ধু সৌদি আরবের জন্য অস্বস্তিকর এমন কিছুই করবে না। নেতানিয়াহু তেমন কিছু করলে মোদি তাঁর নতুন দোস্তের ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন, এমন আশাও একদম অযৌক্তিক নয়। এর ফলে যদি মধ্যপ্রাচ্য শান্তির প্রশ্নে অর্থপূর্ণ আলোচনার সুযোগের সৃষ্টি হয়, ঘন আঁধারে সেটি হবে আলোর সামান্য দ্যুতি।হাসান ফেরদৌস: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি। | 325,240 |
সিলেট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:২৪ | ০২ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:২৬ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | কবির জন্মদিন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/728197 | একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত কবি দিলওয়ারের ৮০তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছে সিলেটের সুরমা খেলাঘর আসর। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা হয়। এতে সংগঠনের সভাপতি দীনবন্ধু পাল সভাপতিত্ব করেন। সভায় কবি ধ্রুব গৌতমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কবি অঞ্জন পাল। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তুহিন কান্তি ধর, তপন চৌধুরী ও নন্দ কিশোর রায়। আলোচনা সভা শেষে কবিতা পাঠ হয়। | 188,755 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৮ | ১০ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৯ | ফেনী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ফেনী থেকে অপহৃত শিশু চট্টগ্রামে উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/794314 | ফেনী থেকে অপহৃত শিশু মেহেদী হাসান রাফিকে (২) গতকাল বুধবার ভোরে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।শিশুটির বাবা ফিরোজ মিয়ার ভাষ্যমতে, তাঁর ভায়রা সাইফুল ইসলাম গত রোববার তাঁর ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। রাতে তিনি ওই বাসায় অবস্থান করেন। গত সোমবার সকালে সাইফুল তাঁর ছেলেকে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের করে চট্টগ্রামে নিয়ে যান। পরে সাইফুল মুঠোফোনে তাঁর কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তিনি ছেলেকে ফিরে পেতে বিকাশের মাধ্যমে সাইফুলকে ১৫ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু সাইফুল তিন লাখ টাকা ছাড়া তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান।পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ফিরোজ মিয়া ফেনী সদর মডেল থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ মুঠোফোনের সূত্র ধরে সাইফুলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে। পুলিশের অভিযানের মুখে শিশুটিকে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকায় ফেলে সাইফুল পালিয়ে যান। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ফেনীতে তার মা ফারজানা আক্তার ঝর্নার হাতে তুলে দেয়।পুলিশ জানায়, গতকাল ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের লস্করহাট বাজার এলাকা থেকে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের উত্তর শিবপুর গ্রামে।ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোরশেদ অপহৃত শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। | 209,433 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২১ মার্চ ২০১৮, ১৭:৪৯ | ২১ মার্চ ২০১৮, ১৭:৫১ | বলিউড | null | কার সঙ্গে প্রেম করেছেন মাধুরী? | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1454441 | বলিউড তারকা মাধুরী দীক্ষিত নাকি কঠিন প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনি কার সঙ্গে প্রেম করেছেন, জানতে চান? ১৯৯১ সালের গোড়ার দিকের ঘটনা। ‘সাজন’ ছবির শুটিং করছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরেক বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত। শুটিংয়ের ফাঁকে তাঁদের মাঝে কখন যে প্রেম শুরু হয়ে গেছে, তা টের পাননি সঞ্জয় দত্ত আর মাধুরী দীক্ষিত। কিন্তু তাঁদের আচরণ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চোখ এড়াতে পারেনি। এ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তা অস্বীকার করেছেন দুজনই। তবে তা বেশি দিন লুকিয়ে রাখতে পারেননি। ১৯৯২ সালে সুভাষ ঘাইয়ের ‘খলনায়ক’ ছবির শুটিংয়ের সময় এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাধুরী জানান, তাঁর প্রিয় মানুষ সঞ্জয় দত্ত, যার সঙ্গে তিনি জুটি বাঁধতে পছন্দ করেন।আরেক সাক্ষাৎকারে মাধুরী দীক্ষিত আরও বলেন, ‘সঞ্জু (সঞ্জয় দত্ত) দারুণ একজন মানুষ। তাঁর মতো ভালো হৃদয়ের মানুষ আমি আর একজনও দেখিনি। একমাত্র সঞ্জুই পারে আমার মুখে হাসি আনতে।’ওই সময় বলিউডের অনেকেই সঞ্জয় আর মাধুরীর প্রেমের ব্যাপারে জানতেন। আর মাধুরীকে বিয়ে করার জন্য নাকি সঞ্জয় দত্তও উঠেপড়ে লেগেছিলেন।স্বামীর সঙ্গে মাধুরীর এই সম্পর্কের ব্যাপারটা অনেক আগে থেকেই ধারণা করেছিলেন সঞ্জয় দত্তের স্ত্রী রিচা শর্মা। তখন তিনি ছিলেন ক্যানসারের রোগী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছিল। সঞ্জয়ের সঙ্গে মাধুরীর প্রেমের গল্প সেখানে পৌঁছে যায়। সংসার বাঁচাতে চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে একমাত্র মেয়ে ত্রিশলাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ফিরে আসেন মুম্বাই।স্ত্রী আর কন্যাকে আনার জন্য সেদিন বিমানবন্দরে যাননি সঞ্জয় দত্ত। বিমানবন্দর থেকে সঞ্জয় দত্তের ল্যান্ড ফোনে দুবার কল দেন রিচা। তাঁর বোন এনা শর্মা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সেদিন রিচার ফোনকল রিসিভ করেননি সঞ্জয়। পরে এক সাক্ষাৎকারে রিচা বলেছিলেন, শুধু স্বামীর প্রতি ভালোবাসার জন্যই নিজের চিকিৎসা ফেলে ভারতে চলে এসেছেন।তবে সংসারের ভাঙন ঠেকাতে পারেননি রিচা শর্মা। ভালোবাসা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, সঞ্জয় দত্ত তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রী রিচার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাবেন।রিচা শর্মা তখন বলেছিলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে একসঙ্গে আছি। দূরে থেকেও আমাদের যোগাযোগ নিয়মিত ছিল। এমন কিছু ঘটেনি যেখান থেকে আমাদের এত বছরের সম্পর্ক ভেঙে দিতে হবে। আমরা এই কঠিন সময় অতিক্রম করব। আমি কোনোভাবেই সঞ্জয়ের থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চাই না।’১৯৯৩ সালে রিচা শর্মার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন সঞ্জয় দত্ত। রিচার অসুস্থতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। যেহেতু তাঁর মস্তিষ্কে টিউমার ছিল, তাই ওই সময় মাথা কাজ করছিল না। আদালতে দীর্ঘদিন সঞ্জয়-রিচার মেয়ে ত্রিশলার অভিভাবকত্ব নিয়ে শুনানি চলে। কিন্তু ডিভোর্সের আগেই ১৯৯৬ সালে রিচা মারা যান। রিচার মৃত্যুর জন্য সঞ্জয় দত্তের অমানবিক আচরণকে দায়ী করা হয়।এই সবকিছুই প্রভাব ফেলেছিল মাধুরী দীক্ষিতের ব্যক্তিগত জীবনেও। যেহেতু তিনি ছিলেন একটি রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে, তাই ওই সময় বিভিন্ন ম্যাগাজিন আর সংবাদপত্রে সঞ্জয়-মাধুরী-রিচাকে নিয়ে যেসব খবর প্রকাশিত হয়, তার প্রভাব পড়ে মাধুরীর পরিবারেও। একসময় সঞ্জয়ের কাছ থেকে দূরে সরে যান মাধুরী।জানা গেছে, অনেক বছর পর আবার একই পর্দায় দেখা যাবে মাধুরী দীক্ষিত আর সঞ্জয় দত্তকে। ছবির নাম ‘সিদ্দত’। প্রযোজক করণ জোহর, আর পরিচালনা করবেন অভিষেক বর্মণ। ছবিতে আরও অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান, সোনাক্ষী সিনহা ও আদিত্য রায় কাপুর। এই ছবির পটভূমি গত শতকের চল্লিশ দশকের। মুম্বাইয়ে এই ছবির বিশাল সেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আর শুটিং শুরু হবে আগামী বছর গোড়ার দিকে। | 358,543 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১২ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:০২ | ১২ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:০৩ | টেলিভিশন | 0 | দিতি–কন্যার নির্দেশনায় বাঁধন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1019305 | এর আগে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য টুকটাক কিছু নাটিকা বানিয়েছেন প্রয়াত চিত্রনায়িকা দিতির মেয়ে লামিয়া চৌধুরী। এবার তিনি নাটক নির্মাণে নাম লেখাতে যাচ্ছেন। এই নাটকে তাঁর নির্দেশনায় অভিনয় করবেন আজমেরী হক বাঁধন। ‘দুই পুতুলের গল্প’ নামের এই নাটকে আরও অভিনয় করবেন নাঈম ও কল্যাণ। আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর ঢাকার গুলশানে দিতির বাসায় নাটকটির শুটিং হবে।বাঁধন এর আগে দিতির নির্দেশনায় কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। এবার তাঁরই মেয়ের নির্দেশনায়ও কাজ করতে যাচ্ছেন, বিষয়টি নিয়ে বেশ আবেগাপ্লুত এই অভিনেত্রী। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে আজ শনিবার সকালে বাঁধন বললেন, ‘আমি খুব সৌভাগ্যবান এই জন্য যে, দিতি আপার পরিচালনায় শেষের দিকে যত নাটক ও টেলিছবি নির্মিত হয়েছে সবগুলোতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এবার তাঁর মেয়ের নির্দেশনায় বানানো প্রথম কাজেরও অংশ হতে যাচ্ছি।’দিতির গুলশানের বাসায় এর আগেও নাটক ও টেলিছবির শুটিং করেছেন বাঁধন। সেই দিনগুলোর কথা মনে করে বাঁধন বলেন, ‘দিতি আপার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিল খুবই চমৎকার। তাঁর পুরো পরিবার আমাকে আপন করে নিয়েছে। লামিয়া ও দীপ্তর (দিতির ছেলে) সঙ্গেও আমার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে আমাদের অনেক শুটিং অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। খুবই ভালো লাগছে এই ভেবে যে, লামিয়ার নির্দেশনায় আমি কাজ করব। আরও ভালো লাগার বিষয়, গুলশানের সেই বাড়িতেই শুটিং করব, যেখানে দিতি আপা শেষ সময় কাটিয়েছেন। এই বাসাতে তিনি তাঁর অনেক নাটকের শুটিংও করেছেন। সব মিলিয়ে পুরো ব্যাপারটি আমার জন্য অনেক বেশি আবেগের।’ | 264,523 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:০৩ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:০৫ | -1 | 0 | ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তরের কথা কেউ বলে না’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/730246 | এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তরের কথা কেউ বলে না।গতকাল এশিয়াটিক সোসাইটির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ‘বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা: বিশ্বায়ন ও বেসরকারীকরণের প্রভাব’ শীর্ষক বক্তৃতায় আমিরুল ইসলাম এই আক্ষেপ করেন। রাজধানীর নিমতলীতে এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে এই বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা আছে। অনেকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একেবারেই গবেষণা হয় না। এটি ঠিক না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে মন্তব্য করে অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক ধনী, তাহলে এই টাকা যায় কোথায়? শোনা যায় মালিকেরা নাকি টাকা নিয়ে যান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মীয়তা বন্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক সোসাইটির ২০১৬-১৭ মেয়াদের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আমিরুল ইসলাম চৌধুরীকে আবারও সভাপতি করা হয়। | 189,328 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ০২ জুন ২০১৭, ০১:০৬ | ০২ জুন ২০১৭, ০৪:২৩ | বাজেট | 0 | মুক্তিযোদ্ধাদের ‘কর’ সালাম | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1202421 | মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থসহ বিশেষ শ্রেণির জন্য সরকার যে ভাতা দেয়, সেই টাকার ওপর কর দিতে হবে না। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, দুস্থ ভাতা বা অনুরূপ কল্যাণ ভাতা এবং বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে প্রাপ্ত সম্মানীর ওপর কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। | 321,031 |
-1 | sports | খেলা | ১৪ এপ্রিল ২০১৫, ০৩:১৫ | ১৪ এপ্রিল ২০১৫, ০৩:১৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | কার্লোসের চোখে দূরের ছবি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/502987 | তিনি এখন ক্লাব কোচ। আনঝি মাখাচকালায় শুরু করে তুরস্কের সিভাসপোর হয়ে এখন আছেন সে দেশেরই আরেক ক্লাব আখিসার বেলেদিয়েপোরে। তবে কোচ হিসেবে ক্লাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে চান এবং সেটা ব্রাজিলেরই। মনের কোণে লুকিয়ে রাখা সেই স্বপ্নটা এবার খোলাখুলিই জানালেন ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোস, ‘আমার লক্ষ্যই জাতীয় দলের কোচ হওয়া।’তবে এখনই জাতীয় দল নয়। আগে ভালো করতে চান ক্লাব কোচিংয়ে। ব্রাজিলিয়ান দৈনিক ফোলহা ডি সাও পাওলোকে সেটিই জানিয়েছেন ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কার্লোস, ‘আমি জানি আমার জন্য এটা অনেক দূরের পথ। যে কারণে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য আমি কোনো সময়সীমা বাঁধছি না।’২০০৬ বিশ্বকাপটা ছিল ব্রাজিলের শিরোপা ধরে রাখার মিশন। কোয়ার্টার ফাইনালে ১–০ গোলে হেরে গিয়েছিল ফ্রান্সের কাছে। অনেক ব্রাজিলিয়ানই এখনো বিশ্বাস করেন সে ম্যাচে কার্লোস গ্যালারি শো করতে যাওয়াতেই দল গোল খেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা মন থেকে মুছে ফেলেছেন কার্লোস। জানিয়েছেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে যা কিছু অর্জন করেছি তা অসাধারণ। ১৪ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলেছি আমি। কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশনস কাপ এবং বিশ্বকাপের মতো বড় শিরোপাও জিতেছি। দল এখনো টানে আমাকে। দলে ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি আমি।’কোচিং ক্যারিয়ারটা উপভোগই করছেন কার্লোস, ‘কাজটা সহজ। ফুটবল খেলে এবং চাপের মধ্যে থেকেই এর ভালো একটা প্রস্তুতি হয়েছে আমার।’ জাতীয় দলের বাইরে বড় ক্লাবে খেলেছেন, পেয়েছেন অনেক বিখ্যাত কোচের সান্নিধ্য। এটা তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারকে আরও গতিময় করে তুলবে বলে বিশ্বাস ব্রাজিলের সাবেক এই লেফটব্যাকের, ‘আমি জাগালো, পাহেইরা, দেল বস্ক, ক্যাপেলো, স্কলারি ও রয় হজসনের অধীনে কাজ করেছি। সবার কাছ থেকেই কিছু না কিছু শিখেছি।’তাহলে কি ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী কোচদের পাশেও একদিন দেখা যাবে কার্লোসকে? গোলডটকম। | 131,229 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ আগস্ট ২০১৩, ০১:৫৫ | ১৮ আগস্ট ২০১৩, ০১:৫৭ | গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | কালিয়াকৈরে একজনকে কুপিয়ে জখম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/40082 | গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পান্না মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার রাতে মৌচাক ইউনিয়নের রাখালিয়াচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রাখালিয়াচালা এলাকায় ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পান্না মিয়াকে তিন-চারজন লোক এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখে। পরে পান্নার পরিবারের সদস্যরা রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত পান্না মিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যার জন্যই পান্নাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম গতকাল বিকেলে বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ | 10,099 |
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:১৯ | ১০ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:২০ | তারাগঞ্জ,রংপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | হলুদচাষির মুখে হাসি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/419776 | রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হলুদচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি হলুদ ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকেরা জানান, এ দামে হলুদ বিক্রি করে তাঁরা ধানের চেয়ে বেশি লাভ পাচ্ছেন।উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৯৮৫ একর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম বেশি পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। গতকাল শুক্রবার তারাগঞ্জ বাজারে গিয়ে চাষিদের ১৫ টাকা কেজি দরে হলুদ বিক্রি করতে দেখা গেছে।অনন্তপুর গ্রামের কৃষক আবু বক্কর জানান, তিনি এবার নয় হাজার টাকা খরচ করে এক একর জমিতে হলুদ চাষ করেন। হলুদ পেয়েছেন ৮০ মণ। প্রতি মণ ৬০০ টাকা করে ৮০ মণ হলুদ বিক্রি করেন ৪৮ হাজার টাকা। খরচ বাদে তাঁর লাভ হয়েছে ৩৯ হাজার টাকা।ঘনিরামপুর গ্রামের হলুদচাষি মোবারক হোসেন বলেন, ‘ধানে চেয়া ভাই হলুদের আবাদোত লাভ হয় বেশি। এক শ শতকোত (এক একর জমি) ধান আবাদ করলে খরচ পড়বে ১৪-১৫ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিলে লাভ থাকপে ১০-১২ হাজার টাকা। কিন্তুক এক শ শতকোত হলুদ আবাদ করতে খরচ নাগবে খালি ৯-১০ হাজার টাকা। আর বেঁচে পাওয়া যাইবে কম করি হইলেও ৪৫ হাজার টাকা। এতে লাভ থাকপে ৩৬ হাজার টাকা।’উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক হবিবার রহমান জানান, আগে তিনিও শুধু ধানের চাষ করতেন। কিন্তু গত বছর হলুদ চাষ করে তাঁর ধানের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। এ কারণে এখন তিনি তাঁর উঁচু জমিতে শুধু হলুদ চাষ করছেন। এ বছর দুই একর জমিতে হলুদ চাষ করে তিনি লাভ করেছেন ৭৬ হাজার টাকা।উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বনাথ সরকার জানান, মার্চ মাসে জমি চাষ করে হলুদ রোপণ করা হয়। ফসল তোলা হয় নভেম্বর-ডিসেম্বরে মাসে। একরে ১০০-১৩০ মণ হলুদ হয়। হলুদখেতে কোনো পোকা আক্রমণ করে না। পরিচর্যাও তেমন করা লাগে না।উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, লাভ বেশি হওয়া কৃষকেরা ধান ও তামাক চাষ না করে উঁচু জমিতে হলুদ চাষ করছেন। এবার ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম বেশি পাওয়ায় হলুদচাষিরা খুব খুশি। | 105,574 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:১৮ | ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৫৮ | অপরাধ | 0 | ঢাকায় ‘বিস্ফোরকসহ দুই জঙ্গি’ গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1375551 | জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের কাছে বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদি বই ও দাওয়াতপত্র পাওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।র্যাব বলছে, তাঁরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী রেললাইন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।র্যাব-১০–এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকীর ভাষ্য, গ্রেপ্তার দুজনের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। একজনের সাংগঠনিক নাম আবদুর রাজ্জাক ওরফে মাসুম (২৮) ও আবদুল মোমিন ওরফে সোহেল (৩২)। দুজনই নারায়ণগঞ্জের হাজীপাড়ায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। | 346,195 |
গাজীপুর ও নরসিংদী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৩৪ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৩৪ | ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | গাজীপুরে শিশু, নরসিংদীতে যুবকের লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/321025 | গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রাম থেকে গতকাল সোমবার তরিকুল ইসলাম ওরফে জয় (৫) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই দিনে নরসিংদী শহরের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পুলিশ নয়ন মিয়া (৩০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে।তরিকুল ইসলাম কাপাসিয়ার শ্রীপুর গ্রামের আইয়ুবুর রহমান মোল্লার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার ভোরে তরিকুলের ফুফু তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাড়ি থেকে কিছু দূরে তাল কুড়াতে যান। পরে ফিরে এসে তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তরিকুলকে উদ্ধার করে আশপাশের লোকজন কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবারের সদস্যদের ধারণা, শত্রুতার জের ধরে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া মহল্লায় নির্মাণাধীন নরসিংদী প্লাজা ভবন থেকে গতকাল সকালে নয়ন মিয়ার (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়। নয়ন সাটিরপাড়া মহল্লার আবদুল হান্নান মিয়ার ছেলে।পুলিশ ও নয়নের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে নরসিংদী প্লাজার মালিকের ছোট ভাই মোখলেস মিয়া তাঁর লোক দিয়ে নয়নকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর নরসিংদী প্লাজার কর্মচারীরা ভবনটির নিচতলায় তাঁর মরদেহ পড়ে আছে বলে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করার পর নিহতের স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে নরসিংদী প্লাজার প্রশাসনিক কার্যালয় ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) মোখলেসুর রহমান ও পৌর মেয়র কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।নয়নের বড় বোন শিউলী বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘এই প্লাজায় অনেক অনৈতিক কাজ হতো, যাতে আমার ভাই প্রায় সময় বাধা দিত। মনে হয় এ কারণেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আবুল কাশেম বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে কেউ ভবন থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে। হত্যার মূল কারণ এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে মাদকসংক্রান্ত কারণ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোখলেসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। | 93,714 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জানুয়ারি ২০১৮, ২২:৫৩ | ২৮ জানুয়ারি ২০১৮, ২২:৫৬ | সরকার,সংসদ | 0 | চার বছরে প্লট-ফ্ল্যাট পেয়েছেন ১৭৯ সাংসদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1419421 | গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার গত চার বছরে ১৭৪ জন সাংসদকে প্লট এবং পাঁচজনকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে প্লট পেয়েছেন ২৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা। রোববার জাতীয় সংসদে আলাদা দুটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।বিরোধী দলের সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে রাজধানী, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ১৭৯ জন সংসদ সদস্য প্লট ও ফ্ল্যাট পেয়েছেন।মোশাররফ বলেন, ওই পাঁচটি সংস্থার মাধ্যমে গত চার বছরে মোট ৫ হাজার ৫৯৯টি প্লট ও ৯ হাজার ৯২৮টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার মোট বিক্রয়মূল্য ৪ হাজার ৮২৩ কোটি ৭৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে পূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজধানী, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গত চার বছরে মোট ২৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধার নামে বিভিন্ন আয়তনের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। | 352,973 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:১৪ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:২০ | আইন ও বিচার | null | দুজনের ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1557928 | অর্থ আত্মসাতের মামলায় ওম প্রকাশ চৌধুরী ওরফে ওম প্রকাশ আগরওয়ালা ও হরে কৃষ্ণ সাহা নামের দুই ব্যবসায়ীকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান এ রায় দেন। পাশাপাশি এ দুজনকে ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।দণ্ডিত দুই আসামিই পলাতক। একই মামলায় অন্য দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন খন্দকার নাসির হোসেন ও নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক।মামলার নথিপত্র বলছে, জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঢাকা ব্যাংকের ১৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার ৬০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৩ সালের ১ জুন মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, আসামি ওম প্রকাশ প্রতারণা করে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে মেসার্স এইচ বি অ্যাপারেলস নামের প্রতিষ্ঠানটিতে ভুয়া আবাসিক ঠিকানা ব্যবহার করেন।দুদক সূত্র বলছে, প্রধান আসামি ওম প্রকাশ চৌধুরী ওরফে ওম প্রকাশ আগরওয়ালার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে আরও দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন। এ মামলাগুলো ২০০৩ সালে করা হয়। ২০০২ সালে ওম প্রকাশ আগরওয়ালা নামের এক ব্যবসায়ী জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই পাঁচ ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ করেছিল।দুদকের কৌঁসুলি ফাতেমা খানম বলেন, অর্থ আত্মসাতের মামলায় ওম প্রকাশ চৌধুরী ওরফে ওম প্রকাশ আগরওয়ালা ও হরে কৃষ্ণ সাহাকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডও ঘোষণা করেন আদালত। | 376,996 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ জুন ২০১৯, ১৪:০১ | ১৭ জুন ২০১৯, ১৭:২৫ | বিএসএমএমইউ,হাসপাতাল,নিয়োগ পরীক্ষা,অনিয়ম,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ | 0 | বিএসএমএমইউয়ে স্থগিত নিয়োগ পরীক্ষা শিগগিরই হবে: উপাচার্য | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1598892 | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সিন্ডিকেট নিয়োগ পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অপ্রীতিকর ঘটনার তদন্তেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া আজ বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।বেলা একটার দিকে বিএসএমএমইউয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মেডিকেল কর্মকর্তা ও ডেন্টাল কর্মকর্তা নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা গত মঙ্গলবার (১১ জুন) স্থগিত করা হয়। খুব শিগগির সেই পরীক্ষা আবার শুরু হবে। তিনি জানান, উপাচার্যের কার্যালয় ভাঙচুর ও অন্যান্য ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবে। তবে কমিটিতে কে কে আছেন, সে কথা তিনি জানাননি।সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে বেলা ১১টায় সিন্ডিকেট সভা হয়।সংবাদ সম্মেলনের পরপরই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকেরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা বলেন, তাঁদের দাবি অনুসারে, আগামী শনিবারের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল না হলে রোববার থেকে বড় ধরনের আন্দোলন করবেন।আন্দোলনকারী প্রার্থীদের সঙ্গে বিএসএমএমইউয়ের বিভিন্ন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের দেখা গেছে। | 405,780 |
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ মার্চ ২০১৪, ০০:৩২ | ১২ মার্চ ২০১৪, ০০:৩৪ | টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বিজয়ী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/166447 | টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী লাভলু মিয়া জয়লাভ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি পেয়েছেন নয় হাজার ৫৮৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আফজাল হোসেন পেয়েছেন সাত হাজার ২৭১ ভোট। গত ২০ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নিহত হন। নবনির্বাচিত লাভলু নিহত রফিকুলের ছোট ভাই। | 57,787 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৫ জানুয়ারি ২০১৪, ১৬:৩৫ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৪, ১৬:৩৭ | -1 | 0 | চাকরি মেলা কঠিন হয়ে যাবে: এরিক স্মিড | http://www.prothom-alo.com/technology/article/131488 | আগামী দুই-তিন দশকে চাকরির বাজারে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ছাড়া চাকরি পাওয়াই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করেছেন গুগলের চেয়ারম্যান এরিক স্মিড।প্রতিনিয়ত নিত্য-নতুন নানা প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ক্রমাগত উন্নয়নের কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অনেক কর্মী চাকরি হারাবেন বলেও জানিয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী মার্কিন এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী।সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এরিক স্মিড। চাকরির বাজারের আসন্ন মন্দাবস্থাকে শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।এরিক বলেন, ‘আসছে দিনগুলোতে কম্পিউটার এবং মানুষের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। এই দৌড়ে মানুষেরই জয় হওয়া উচিত। তবে যতটা দ্রুততার সঙ্গে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটছে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দক্ষ জনবল পাওয়া যাবে কি না, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত নয়।’এরিক আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নিত্য-নতুন সব প্রযুক্তিপণ্যের উদ্ভাবন ও উন্নয়ন ঘটে চলেছে। কর্মস্থলের রুটিন অনেক কাজ যন্ত্রের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এজন্য ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে খণ্ডকালীন কাজের চাহিদা বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে প্রথাগত নয়টা থেকে পাঁচটা চাকরিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।’কর্মচারীদের বেতন নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন এরিক। তাঁর মতে, ‘নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি স্পষ্ট উপলব্ধি করেছি, একটি কোম্পানি চাইলেই কর্মচারী পেতে পারে। কিন্তু কর্মচারীদের যে বেতন দেওয়া হয়, তা এখনো হতাশাজনক।’ | 46,189 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ জুলাই ২০১৮, ১০:৫৩ | ০৩ জুলাই ২০১৮, ১০:৫৫ | পাকিস্তান,এশিয়া | null | আম্পায়ার খুশি থাকলে ছক্কা মারবেন ইমরান খান | http://www.prothom-alo.com/international/article/1523851 | ২৫ জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও শাসনব্যবস্থায় বরাবরই দেখা গেছে জলপাই শাসনের ছায়া। চেষ্টা করেও এ থেকে বের হতে পারছে না দেশটি। প্রথমবারের মতো দুটি গণতান্ত্রিক সরকার মেয়াদ পূর্ণ করেছে। সেই দেশের আসন্ন নির্বাচনে এবার ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খানের দিন আসছে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন। বলা হচ্ছে, রাজনীতির মাঠে ছক্কা হাঁকাবেন ইমরান। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের হালচাল সে কথাই বলছে। ২২ বছর ধরে রাজনীতির মাঠে থাকা ইমরানকে নিয়ে এহেন স্বপ্নের কারণ সেনাবাহিনী। ভোটের বাজারে কানাঘুষা, ইমরান-সেনাবাহিনী এবার ‘মানিকজোড়’। পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে গার্ডিয়ানও এক বিশ্লেষণে এমন আভাসই দিয়েছে।গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নিজেদের মতো’ করে নির্বাচনে সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনীকে ‘আম্পায়ার’ আখ্যা দিয়ে বলা হচ্ছে, এদের হাতে রাখতে পারলেই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হয়ে বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে বোল্ড করে ব্যাটিংয়ে ছক্কা হাঁকাবেন। আর এটা ঘটলে তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাতেই প্রাণ ফিরে পাবে নয়া পাকিস্তান।২২ বছর ধরে ‘নতুন পাকিস্তান’-এর জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছেন ইমরান। পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নতুন কিছু নয়। দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে (পিপিপি) পরাজিত করতে বিরোধী দলগুলোকে অর্থ দিয়েছিল সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বা ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স। এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রভাব খাটানোর নানা আলামত আগেই পাওয়া গেছে। এখন সেগুলো প্রকাশিত হচ্ছে।এখন ইমরান খান পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অবস্থায় আছেন বলে ধরে নেওয়া যায়। তবে তিনি ‘আম্পায়ারদের’ মন রাখতে বা পছন্দের কি না, তা-ই আগামীর বিবেচ্য বিষয়। নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেছে। ২৫ জুলাই ভোটের দিন তাঁর ফল ভালো হওয়ার কথা। ৩০ জুন গার্ডিয়ানের প্রতিবেদক মেমফিস বার্কার লাহোরে ইমরানের বাসার সামনে ছিলেন। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান থাকেন লাহোরে। তাঁর বাড়ির সামনেই চা-সমুচার দোকানের ভিড় করছেন কিছু ভক্ত। তাঁরা ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্মৃতি ও গৌরব নিয়ে কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন, অধিনায়ক ইমরানের বলে ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট পড়ে যায়। পাকিস্তান মেতে ওঠে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। ফাইনালে ইমরানের হাতে ট্রফি ও সেই জয়ের সেই স্মৃতি মনে করে ভক্তদের একজন ইমরান রাজা বলছিলেন, ‘ইমরান খান বাঘের মতো ছিলেন।’ ২১ বছর বয়সী হাসান বলছিলেন, ‘আমি এখনো ইউটিউবে সেই ম্যাচ দেখি।’১৯৯৬ সালে ইমরান রাজনৈতিক দল পিটিআই প্রতিষ্ঠা করেন। নির্বাচন উপলক্ষে লাহোরের রাস্তায় শোভা পাচ্ছে পিটিআইয়ের পোস্টার। পোস্টারের দলের লোগো, ব্যাট এবং বল আছে। নির্বাচনের জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ৬৫ বছরের ইমরান। গত বৃহস্পতিবার লাহোরে এক সমাবেশে দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের সতর্ক করে দিয়ে দীর্ঘ সময় মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান বলেছেন, ‘শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত থামা যাবে না।’বিভিন্ন জরিপে বলা হচ্ছে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএলএল-এন) আবার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক পূর্বাভাস দিয়েছেন যে পরাজয়ের প্রবণতা, আদালতের মামলা এবং সামরিক বাহিনীর চাপ সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দলকে পরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে হয়তো দেবে না।তবে বিনা স্বার্থে পাকিস্তানের কোনো দলকেই বুকে টানেনি সেনাবাহিনী। তাহলে ইমরানের পক্ষে কেন? বিশ্লেষকেরা বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা নওয়াজের পিএমএল-এনের মতো প্রভাবশালী দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়। আর তাই তৃতীয় শক্তি হিসেবে তেহরিক-ই-ইনসাফের মতো চারাগাছকে ক্ষমতায় বসাতে চায় সেনাবাহিনী। খেলার মাঠ ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামার পর থেকেই ‘সেনা হাতিয়ার’-এর কলঙ্ক ইমরানের শরীরে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তা আরও চাঙা হচ্ছে। অনেকেই ধারণা, এবার ইমরানের কাঁধে বন্দুকের নল রেখে ‘পাখি’ শিকার করবে সেনাবাহিনী।এবারের নির্বাচনে নওয়াজের পিএমএল-এনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাজির হয়েছে ইমরানের পিটিআই। প্রতিপক্ষ কুপোকাত করে ইমরানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও জোরদার হয়েছে। কারণ, নির্বাচনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ সেনা মোতায়েনের যে সিদ্ধান্ত, তাতে সায় রয়েছে ইমরানের। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দীর্ঘদিনের বাসনা পূর্ণ করতে জোর প্রচারণাও চালাচ্ছেন ইমরান। এমনও জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মতো আচরণ শুরু করে দিয়েছেন তিনি।সেনাবাহিনীর চাওয়া পূরণ হবে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। সবকিছু নিজেদের মতো করে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও ভোটারের মন তো আর সেনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। নওয়াজের প্রতি সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের আচরণে তাঁর প্রতি জনগণের সহানুভূতি আবার বাড়ছে বলে জরিপে দেখা যাচ্ছে। গ্যালাপের ওয়েবসাইট বলছে, সবার চেয়ে এগিয়ে আছে নওয়াজের পিএমএল-এন (৩৮শতাংশ)। তার পরেই আছে ইমরানের পিটিআই (২৫শতাংশ); তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জারদারি-বিলাওয়ালের পিপিপি (১৫ শতাংশ)। জাতীয়ভাবে নওয়াজ ইমরানের চেয়ে ১৩ শতাংশ এগিয়ে থাকলেও নিজের ঘাঁটি পাঞ্জাবে এগিয়ে আছেন ২০ শতাংশ। নওয়াজের দলের ইভেন্টগুলোয় জনসমাগমও হয় অন্য দলগুলোর চেয়ে বেশি।গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাহোরের যে এলাকা থেকে ইমরান লড়াই করছেন, সেই এলাকার একটি রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করে আছেন মেহরিন ও তাঁর স্বামী ইয়াসির। সেখানে পিএমএল-এনের সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁরা বলছিলেন, ‘ইমরান খান একমাত্র ব্যক্তি, যিনি পাকিস্তানের জন্য একমাত্র আশা।’কে জিতবেন, তা এখন বলা মুশকিল। চলতি বছরে পাকিস্তানে অর্থনীতির অবস্থা টালমাটাল, মূল্যস্ফীতি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের সহায়তাও প্রয়োজন দেশটির। অর্থ পাচারসংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে। কারণ, সন্ত্রাসবাদের আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে তারা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেনি।২০০৬ সালে ইংল্যান্ড ফিরে আসার পর ইমরান তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্লেবয় খ্যাতি বাদ দিয়ে রাজনীতির মাঠে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন। বিয়ে করেন জেমিমা গোল্ডস্মিথকে। স্যুট-বুট ছেড়ে এখন তিনি পাঞ্জাবি-পায়জামা (সালোয়ার-কামিজ) পরেন। জেমিমার পর রেহাম খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধলেও তা টেকে মাত্র ১০ মাস। এ বছরের শুরুতে তাঁর আধ্যাত্মিক উপদেষ্টা বুশরা মানেকাকে বিয়ে করেন। সমর্থকদের কাছে ইমরান খান রাজনীতিবিদের পাশাপাশি একজন মানবপ্রেমিকও। ক্যানসারের তিনটি হাসপাতাল স্থাপন করেছেন। তার অর্থনৈতিক অবস্থা পিএমএল-এন প্রতিষ্ঠাতা নওয়াজ শরিফ এবং তাঁর পরিবারের মতোই। নওয়াজ শরিফ ও তাঁর পরিবার অর্থ পাচার মামলায় বিচারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।গত বছর ইমরান খান পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নামা আসা নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপরই নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার যোগ্যতা হারান। পরে সরে যান। ৪০ বছর বয়সী প্রযুক্তিকর্মী রাহিল মালিক বলেন, ‘ইমরান খান একজন সৎ ব্যক্তি। তিনি যা বলেন, তা-ই করার চেষ্টা করেন। এ জন্য তাঁকে একটিবার সুযোগ দেওয়া উচিত।’টেলিভিশন উপস্থাপক ফাসি জাকা গার্ডিয়ানকে বলেন, পিটিআই চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে একটু কম আস্থাশীল ছিলেন। ‘গতবারের প্রচারের দিকে তাকালে দেখবেন, লক্ষণীয় বিষয় হলো, পিটিআই ২০১৩ সালে সেভাবে প্রচারে নামেনি। তরুণ ও মধ্যবিত্তের ভোট পেয়ে ইমরান খানের দল পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়ে যায়। অংশত সেটাই ইমরানের পথ প্রশস্ত করেছে।’ইমরান খান দেশটির জনগণকে ‘নতুন পাকিস্তানের’ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আর অনেকেই এতে আশাবাদী। কারণ, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে তাঁর দলের সরকার পাঁচ বছরে সাফল্যর সঙ্গে জনকল্যাণে কাজ করেছে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা বেড়েছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়েছে।পাকিস্তানের অন্যতম একজন কনসালট্যান্ট উমর জাভেদের মতে, ইমরান খান প্রতিষ্ঠানবিরোধী গুজব উপভোগ করেন। পাঞ্জাবের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর ধারণা ব্যাপক। তিনি ভালো করতে পারেন—এটা মানলেও মানুষের বিশ্বাস, তাঁর পেছনে আছে সেনাবাহিনী। | 369,217 |
প্রতিনিধি, শরীয়তপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:১১ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:১৯ | শরীয়তপুর,আওয়ামী লীগ,রাজনীতি,বিএনপি,একাদশ সংসদ নির্বাচন | null | ভুতুড়ে বিলে মনোনয়নপত্র বাতিল করার অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1568235 | এই খবরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা খুশি। কারণ এখানে বিএনপির বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই।শরীয়তপুর-১ (সদর-জাজিরা) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সরদার নাসির উদ্দিনের (কালু) মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টেলিফোন বিল বকেয়া থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে গত রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এ সময়কালে নাসির উদ্দিনের কাছে ৩ হাজার ৮১৫ টাকার বিল বকেয়া রয়েছে।সরদার নাসির উদ্দিন অভিযোগ করেন, মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পরিকল্পিতভাবে ভুতুড়ে টেলিফোন বিলের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাছাইয়ের সময় বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ ৩০ বছর আগের বিল বকেয়া রয়েছে বলে আপত্তি তোলে। তাৎক্ষণিক আমরা তাদের ফরিদপুর রাজস্ব কার্যালয়ে যোগাযোগ করি। আমার কাছে কোনো বিল বকেয়া নেই এমন প্রত্যয়নপত্র দেয়। সেই কপি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তারা ফ্যাক্সযোগে পৌঁছে দেয়। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তা আমলে না নিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।’সাবেক এই সাংসদ আরও বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ওই টেলিফোন ব্যবহার করতাম। ১৯৯৩ সালের ১৯ মে ফোনটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে। ওই বছরের মে পর্যন্ত বিল পরিশোধ করা রয়েছে। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। ২০০৩, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। তখন তো এ বিলের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। আশা করছি আমার প্রার্থিতা ফিরে পাব।’এদিকে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। রোববার বিকেলে এ খবর জানার পর দলটির সমর্থকেরা বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেন। অনেকে ফেসবুকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থী বিলখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমাদের প্রার্থীর বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খুশি।’এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল হোসেন (অপু) বলেন, ‘এ আসনটিতে বরাবর আওয়ামী লীগ জয় পায়। বিএনপি এখান থেকে একটি ইস্যু তৈরি করতে চায়। কিন্তু আমরা সে সুযোগ দেব না। নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি আশা করছি, তিনি আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান এবং ভোটের মাঠে সক্রিয় হন।’এদিকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আবদুস সালাম বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। হামলা-হামলার ভয় উপেক্ষা করে নির্বাচনী মাঠে সংগঠিত হচ্ছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে একটি ভুতুড়ে টেলিফোন বিল সামনে এনে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো।রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা ৩ ডিসেম্বর থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। শরীয়তপুর-১ আসনের প্রার্থী বকেয়া বিল পরিশোধের কোনো নথি দেখাতে পারেননি। মনোনয়নপত্র বাছাইকালে তিনি বিল পরিশোধের জন্য নগদ টাকা বিটিসিএলের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। বিষয়টি আইনের মধ্যে না থাকায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। | 384,871 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫৩ | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫৬ | খেলা | 0 | জাতীয় যুব হকি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/508369 | মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে কাল রাজশাহী ১৪-০ গোলে গাজীপুরকে, নাটোর ৫-০ গোলে কক্সবাজারকে, পটুয়াখালী ৭-২ গোলে মাদারীপুরকে, সিলেট ৪-০ গোলে চুয়াডাঙ্গাকে হারিয়েছে। | 132,896 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ জুন ২০১৫, ২২:১৩ | ৩০ জুন ২০১৫, ২২:১৫ | রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ | 0 | শাহজালালে অনুমোদনহীন সিগারেট ও ওষুধ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/566341 | শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেশ কিছু অনুমোদনহীন সিগারেট ও ওষুধ উদ্ধার করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, উদ্ধারকৃত সিগারেট ও ওষুধের দাম ৫১ লাখ টাকা। আজ বেলা ৩টার দিকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার সানজিদা অনুসূয়া প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে বিমানবন্দরের এয়ারফ্রেইড গুদাম থেকে সিগারেট ও ওষুধগুলো উদ্ধার করা হয়। গত ২৬ জুন এগুলো বাংলাদেশ বিমানের একটি বিমানে করে ঢাকায় আনা হয়। এর মধ্যে ৩২টি বড় বক্সের মধ্যে ইজি ব্লেক ব্র্যান্ডের ২ হাজার ৫০৭ কার্টন সিগারেট ছিল। আরও দুটি বড় বক্সে বিভিন্ন রকমের অনুমোদনহীন ওষুধ ছিল। এসব বক্সের গায়ে ইনফিনিটি পাওয়ার অ্যান্ড কোম্পানির নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা ছিল বলেও জানান তিনি। | 148,960 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ মে ২০১৫, ০১:৪৩ | ২৭ মে ২০১৫, ০১:৪৪ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | আড়াইহাজারে গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/538428 | নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়েছে প্রতিবেশী এক যুবক। গুরুতর অবস্থায় গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।অ্যাসিডদগ্ধ গৃহবধূর স্বামী সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী গ্রামের বাড়িতে রাত ১০টার দিকে কাজ করার সময় প্রতিবেশী আলেকের ছেলে আমির হোসেন তাঁর স্ত্রী রেহানার (৩০) শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। অ্যাসিডে রেহানার ঘাড়, পিঠসহ শরীরের অনেকাংশ ঝলসে যায়। বাড়ির লোকজন রেহানাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এলাকাবাসী জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকতেন। তিনি মালয়েশিয়া থাকাকালে আমির হোসেন গৃহবধূকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এতে ওই গৃহবধূ প্রতিবাদ করলে আমির কয়েকবার তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সংবাদ পেয়ে স্বামী মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে এসে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আমির হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমির হোসেন অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে। অ্যাসিডদগ্ধ গৃহবধূর দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর জানান, আমির হোসেনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। | 142,323 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:৫২ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:৫৯ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | আইসিসিকে একহাত মরগানের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/445564 | আইসিসি হঠাৎ ব্যাট নিয়ে পড়ল কেন, সেটা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেন না এউইন মরগান। ইংলিশ অধিনায়কের মতে, বিশ্বকাপের পর ব্যাটের বিরুদ্ধে আইসিসির ‘যুদ্ধ’ ঘোষণার ব্যাপারটি ‘হাস্যকর কৌতুক’ ছাড়া আর কিছুই নয়।আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের একটি মন্তব্যকেও ভালোভাবে নেননি মরগান। তিনি বলেছিলেন ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান ও বোলারের সুবিধা পাওয়ার ভারসাম্যটা নষ্ট হয়ে তা ব্যাটসম্যানদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিছু দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার রিচার্ডসন তাঁর সেই মন্তব্যটি করেছিলেন।মরগান মনে করেন, ‘ব্যাট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে কিন্তু ক্রিকেটে যে দুই দিকে দুটি নতুন বল দিয়ে খেলা হচ্ছে, সেটা নিয়েও তো কথা বলা উচিত। একটি ক্রিকেট ম্যাচে কখনোই কোনো বল ২৫ ওভারের বেশি পুরোনো হয় না। সে কারণে সার্কেলের মধ্যে সব সময়ই একজন ফিল্ডার রেখে দিতে হয়।’মরগানের মতে, এমন যখন পরিস্থিতি তখন কেবল ব্যাটের আকার নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হওয়াটা হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলে নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে ইংলিশরা। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও পুরো প্রতিযোগিতায় দলের পারফরম্যান্স দারুণ আশাবাদ জোগাচ্ছে মরগানকে, ‘ফাইনালটা বাজে খেলেছি। তবে এই মুহূর্তে আমরা নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছি বিশ্বকাপের জন্য।’বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্যের ওপর অগাধ ভরসা মরগানের। তিনি মনে করেন, দলের সামর্থ্যেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ভালো করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে, ‘আমার দলের সামর্থ্য নিয়ে আমি আশাবাদী, একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী।’ নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে বিশ্বকাপে অবশ্যই আমরা ভালো কিছু করতে পারব। সূত্র: এএফপি। | 113,267 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ মে ২০১৪, ০২:০৮ | ০৩ মে ২০১৪, ০২:২০ | সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | বজ্রপাতে মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/206815 | সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওর ও সাংহাই হাওরে গত বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো জয়কলস ইউনিয়নের জামলাবাজ গ্রামের আশিকুর রহমান (১২) ও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তাজুল ইসলাম (৩২)। তারা হাওরে ধান কাটছিল। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। সুনামগঞ্জ অফিস | 70,319 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মে ২০১৪, ০২:০৬ | ১০ মে ২০১৪, ০২:০৮ | -1 | 0 | ফোরাম গঠন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/212482 | প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পিটিআই এবং উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ প্রাইমারি এডুকেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি ফোরাম গঠিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নবী হোসেন তালুকদারকে আহ্বায়ক এবং সহকারী পরিচালক মো. সুলতান মিয়াকে সদস্যসচিব করে ফোরামের ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ফোরামের সাধারণ সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি। | 72,102 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৬ এপ্রিল ২০১৪, ০২:০৪ | ২৬ এপ্রিল ২০১৪, ০২:০৪ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর | 0 | ২৪ ঘণ্টায় সেবা | http://www.prothom-alo.com/technology/article/201781 | জমা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্যামসাংয়ের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যে বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীর লালমাটিয়ায় কম্পিউটার সোর্সের প্রধান সার্ভিস সেন্টার (৮/১৪, ব্লক-সি) থেকে এই সুবিধা নিতে পারবেন স্যামসাংয়ের ল্যাপটপ কম্পিউটার, মনিটর ও প্রিন্টার ব্যবহারকারীরা। একই সঙ্গে এই সময়কালে ওয়ারেন্টি নেই এমন পণ্যের সার্ভিসিংয়ের ক্ষেত্রেও আছে ছাড় ও পুরস্কার। —বিজ্ঞপ্তি | 68,737 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৮ জুলাই ২০১৩, ১৫:১৭ | ১৮ জুলাই ২০১৩, ১৫:৪০ | মোবাইল ফোন | 0 | তথ্য ফাঁস হওয়া ছয় স্মার্টফোন! | http://www.prothom-alo.com/technology/article/26032 | অনলাইনে প্রযুক্তিবিষয়ক নানা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মাপের স্মার্টফোনের তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা বলছেন, আসন্ন এ স্মার্টফোনগুলোতে বাজারে ক্রেতাদের পছন্দসই হওয়ার মতো নানা ফিচারই থাকবে। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া স্মার্টফোনগুলো হচ্ছে অ্যাপলের আইফোন ৫এস, সনির ‘আই ১ হোনামি’, এইচটিসি ‘ওয়ান ম্যাক্স’, ‘ব্ল্যাকবেরি এ ১০’, স্যামসাং ‘গ্যালাক্সি ফোল্ডার’, মটোরোলার ‘মটো এক্স’। আইফোন ৫এস আইফোনের নতুন সংস্করণ ‘আইফোন ৫এস’ তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। সম্প্রতি অনলাইনে আইফোন ৫এসের বেশ কিছু ছবি ফাঁস হয়েছে। আইফোন ৫এসের ছবি ফাঁস করেছে ম্যাকরিউমারস নামের প্রযুক্তিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট। অ্যাপল থেকে ফাঁস হওয়া ছবি ও স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশের বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আইফোন ৫ সদৃশ হতে পারে আইফোন ৫এস। তবে আইফোন ৫ এর সঙ্গে আইফোন ৫এসের পার্থক্য থাকবে ব্যাটারি, ডিসপ্লে রেজুলেশন ও ক্যামেরার ক্ষেত্রে। এ ফোনে উন্নত রেজুলেশনের ক্যামেরা যুক্ত করতে পারে অ্যাপল। নতুন স্মার্টফোনে ব্যবহূত হবে আইওএসের নতুন সংস্করণ। আইফোন ৫ এস ছাড়াও অ্যাপল সাশ্রয়ী দামের একটি আইফোন আনতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। প্লাস্টিকের কাঠামোর সাশ্রয়ী এ স্মার্টফোনের ছবিও অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। সনির‘আই ১ হোনামি’ ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেন্সর যুক্ত ‘আই ১ হোনামি’ নামের একটি স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারে ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা সনি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ স্মার্টফোনটির তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ইপ্রাইস ডটকমে ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, জনপ্রিয় এক্সপেরিয়া সিরিজে ‘আই১ হোনামি’ স্মার্টফোনটি যুক্ত করতে পারে সনি। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর আই১ হোনামি স্মার্টফোনটিতে থাকবে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে, সনির জিলেন্স ও বায়োঞ্জ ইমেজ প্রসেসর। অভ্যন্তরীণ ১৬ গিগাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার স্মার্টফোনটি মাইক্রোএসডি কার্ড সমর্থন করবে। এতে থাকবে দুই দশমিক দুই গিগাহার্টজের কোয়াড-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮০০ প্রসেসর, দুই গিগাবাইট র্যাম ও উন্নত ব্যাটারি। আট দশমিক তিন মিলিমিটার পুরুত্বের স্মার্টফোনটির সামনের দিকেও থাকবে দুই মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। পাশাপাশি, সনির এক্সপেরিয়া জেড স্মার্টফোনটির মতোই নতুন এ স্মার্টফোনটি হবে পানি ও ধুলা প্রতিরোধী। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আইএফএ ২০১৩ অনুষ্ঠানের প্রথম দিনেই নতুন এ স্মার্টফোনটির ঘোষণা দিতে পারে সনি। নতুন স্মার্টফোনটির দাম প্রসঙ্গে কোনো তথ্য জানা যায়নি। এইচটিসি ওয়ান ম্যাক্স ছয় ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত এইচটিসি ওয়ান স্মার্টফোনটির নতুন সংস্করণের তথ্য ফাঁস করেছে মোবিগিকস নামের একটি ওয়েবসাইট। মোবিগিকসের তথ্য অনুযায়ী বড় আকারের হাই ডেফিনেশন ডিসপ্লে থাকায় এইচটিসির এ স্মার্টফোনটির নাম ম্যাক্স রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। দুই দশমিক তিন গিগাহার্টজের স্ন্যাপড্রাগন ৮০০ প্রসেসর, অ্যাড্রিনো ৩০০ গ্রাফিকস কার্ড ও দুই গিগাবাইট র্যাম থাকবে এইচটিসি ম্যাক্সে। স্মার্টফোনটির পেছনে আলট্রাপিক্সেল ক্যামেরা ও সামনে দুই মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকতে পারে।মেগাপিক্সেল সেন্সরের কয়েকটি স্তর মিলে তৈরি হয় আলট্রা-পিক্সেল। এটি পিক্সেল হিসেব না করে পিক্সেলের আকার হিসাব করে। এইচটিসি ওয়ান ম্যাক্স স্মার্টফোনে ৩২ ও ৬৪ গিগাবাইট তথ্য ধারণ করা যাবে। এইচটিসি ম্যাক্স ছাড়াও ফাঁস হয়েছে এইচটিসি ওয়ান স্মার্টফোনটির একটি মিনি সংস্করণের তথ্য। চার দশমিক তিন ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত এ স্মার্টফোনটির তথ্য ফাঁস করেছে বুলগেরিয়ার প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট স্মার্ট নিউজ। স্মার্ট নিউজে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এইচটিসি মিনি স্মার্টফোনটির নাম ‘এইচটিসি এম ৪’ রাখতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যান্ড্রয়েড জেলিবিন নির্ভর স্মার্টফোনটিতে দুই গিগাবাইট র্যাম ও ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরি থাকবে। এ স্মার্টফোনটিতে থাকবে উন্নত রেজুলেশনের ডিসপ্লে ও দীর্ঘক্ষণ চার্জ থাকার সুবিধা। এই স্মার্টফোন ফোরজি সুবিধা সমর্থন করবে এবং এতে উন্নত ক্যামেরা থাকবে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে এ স্মার্টফোন বাজারে আসতে পারে। তবে এর দাম সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ডার ভাঁজ করা যায় এমন ফোন বাজারে আনতে কাজ করছে স্যামসাং। সম্প্রতি জাপানের ব্লগিং সাইট ব্লগ অব মোবাইলে স্যামসাং ফোল্ডার নামে নতুন একটি স্মার্টফোনের তথ্য ফাঁস হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর গ্যালাক্সি ফোল্ডারে থাকছে ডুয়াল কোরের কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এস ৪ প্রসেসর। সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ টাচস্ক্রিন ও কিবোর্ড সুবিধার এ স্মার্টফোনটি বাজারে আনতে পারে স্যামসাং। ব্ল্যাকবেরি এ১০ ব্ল্যাকবেরি এ১০ নামে একটি স্মার্টফোনের তথ্য সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। ক্র্যাকবেরি ডটকমে ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্ল্যাকবেরির নতুন হবে স্মার্টফোনটি ব্ল্যাকবেরি ১০.২ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর। পাঁচ ইঞ্চি মাপের ওএলইডি ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোনটিতে থাকবে এক দশমিক সাত গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর কোয়ালকমের প্রসেসর, কোয়াড কোর জিপিইউ ও দুই গিগাবাইট র্যাম। স্মার্টফোনটির পেছনে আট মেগাপিক্সেল ও সামনে দুই মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকবে। এই স্মার্টফোনটিতে অ্যাকসিলারোমিটার, জিইরোস্কোপ, ম্যাগনোটোমিটার ও আল্টিমিটারের মত সেন্সর থাকবে। নয় দশমিক সাত মিলিমিটার পুরুত্বের স্মার্টফোনটি শিগগিরই বাজারে আনতে পারে ব্ল্যাকবেরি। মটোরোলার‘মটো এক্স’! অনলাইনে মুঠোফোনের তথ্য ফাঁসকারী ইভালিকসের টুইট থেকে জানা গেছে মটোরোলার তৈরি মটো এক্স স্মার্টফোনটিতে থাকবে এক দশমিক সাত গিগাহার্টজের ডুয়াল-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর, দুই গিগাবাইট র্যাম সুবিধা। স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে রেজুলেশন হবে ৭২০ পিক্সেল এবং এতে ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত ইন্টারনাল মেমোরি থাকবে। স্মার্টফোনটির পেছনে ১০ মেগাপিক্সেল ও সামনে দুই মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকতে পারে। স্মার্টফোনটি হবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ নির্ভর। ২৯ মে বুধবার অল থিংস ডিজিটাল সম্মেলনে মটোরোলার প্রধান নির্বাহী ডেনিস উডসাইড নতুন এই স্মার্টফোনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উডসাইড এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মটো এক্স’ স্মার্টফোনটির জন্য শক্তি-সাশ্রয়ী সেন্সর ও শক্তিশালী প্রসেসর তৈরি করবেন মটোরোলার বিশেষজ্ঞরা। উডসাইড আরও জানিয়েছেন, মটো এক্স স্মার্টফোনটি বর্তমানে বাজারে থাকা স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় আর বেশি ব্যবহার-বান্ধব ও ইন্টারেকটিভ হবে। এ স্মার্টফোনটির ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য জানাতে পারবে। গুগলের উন্নত সার্চ, নতুন প্রযুক্তির সেন্সর ব্যবহূত হবে এতে। উডসাইড জানিয়েছেন, উন্নত প্রযুক্তির স্মার্টফোন হলেও ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে কম লাভে এ স্মার্টফোন বিক্রি করবে মটোরোলা। | 3,195 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৪ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৩ | ০৪ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৫ | ভারত | 0 | ভিটামিন ডির অভাবে ভারতীয় নারী | http://www.prothom-alo.com/international/article/1524871 | ভারতীয় নারীরা ভিটামিন ডির অভাবে ভুগছেন বলে নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে। বিশেষত, নিম্ন আর্থসামাজিক অবস্থানে থাকা নারীরা ভিটামিন ডি এর অভাবে ভুগছেন।গবেষণাটি করেছে ফর্টিস সি-ডক, সহযোগিতায় ছিল এআইআইএমএস, ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া ও ন্যাশনাল ডায়বেটিস অবিসিট অ্যান্ড কোলেস্টরেল ফাউন্ডেশন। এতে দেখা যায়, প্রাক্-ডায়াবেটিক পর্যায়ে থাকা ভারতীয় নারীদের ভিটামিন ডির স্বল্পতার সঙ্গে রক্তের শর্করার মাত্রার সম্পর্ক রয়েছে।ডেকান ক্রনিকলস জানায়, গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ আর্থসামাজিক অবস্থানে থাকা ভারতীয় নারীদের তুলনায় নিম্ন আর্থসামাজিক অবস্থানে থাকা নারীদের মধ্যে ভিটামিন ডির অভাব বেশি।‘ঋতুস্রাব শেষ হওয়া যেসব নারী ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির অভাবে ভুগছেন, অন্যদের তুলনায় তাঁদের মধ্যে হাড়ের সমস্যা (বোন ড্যামেজ) হওয়ার আশঙ্কা বেশি।’ ২০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭৯৭ জন ভারতীয় নারীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। ফর্টিস সি-ডকের চেয়ারম্যান অনুপ মিশ্র বলেন, আগের গবেষণাগুলোয় পেটের মেদ ও ভিটামিন ডির অভাবের সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। সুস্থ মানুষের তুলনায় ডায়াবেটিক রোগীদের ভিটামিন ডির অভাব কত বেশি থাকে, সেটিও দেখিয়েছেন তাঁরা।যা হোক, বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে প্রাক্-ডায়বেটিসের আরোগ্য এবং ভিটামিন ডির সম্পর্ক এখনো অস্পষ্ট এবং অনাবিষ্কৃত। | 369,321 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ২০ মার্চ ২০১৫, ০২:২৫ | ২০ মার্চ ২০১৫, ০২:৩১ | জীবনধারা,পরামর্শ | 0 | ছুটির দিনে ওজন নিয়ন্ত্রণ | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/481741 | সাফল্যের ৮ কৌশল১শরীরচর্চা করুননিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ বা কমানোর চেষ্টায় সাফল্য পাওয়া সম্ভব। কিন্তু শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন২সামান্য প্রবঞ্চনা, কিন্তু দিনে মাত্র একবারছুটির দিনে অন্তত এক বেলা সুস্বাদু ও সুগন্ধি খাবার প্রাণভরে খেতে পারেন। তবে পরে সীমিত পরিমাণে খেয়ে ক্ষতিটা পুষিয়ে নিন। কিছু শারীরিক ব্যায়ামও করুন৩লোভ সংবরণ করুনদেখলেই খেতে ইচ্ছা করে—এমন খাবার ছুটির দিনে বাড়িতে যেন না থাকে। পরিবারের সবার জন্য যখন কোনো কিছু রান্না করবেন, পরিমাণে কম রাঁধুন। তারপর কেউ একজন বেশি না খেয়ে সবাই মিলে খান৪শাকসবজি ও ফলমূল খানখাদ্যতালিকায় অন্তত সাত রকমের ফলমূল ও শাকসবজি রাখুন। এতে আপনার পেট যেমন ভরবে, তেমনি বাড়তি ক্যালরি গ্রহণের ঝুঁকি থেকেও মুক্ত থাকবেন। আর তন্তু বা আঁশযুক্ত খাবার আপনার জন্য উপকারী৫খালি পেটে নিমন্ত্রণে নয়এক রকমের ফল, চর্বিমুক্ত দই বা বাদাম খেয়ে নিন। তারপর কোনো খাওয়াদাওয়ার নিমন্ত্রণ অনুষ্ঠানে যোগ দিন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় যাবেন না। সেখানে গিয়ে ধীরেসুস্থে মনোযোগ দিয়ে খান৬সীমিত পরিমাণে খাননিমন্ত্রণে যোগ দেওয়ার সময় হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী কোনো রুচিবর্ধক বা মিষ্টিজাতীয় খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। খাওয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ছোট প্লেট বা থালা বাছাই করুন। বেশি চিনিযুক্ত সস ও পানীয়, চর্বিযুক্ত মাংস ইত্যাদি বর্জন করতে হবে৭বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যানউচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলো নিতে আপনি বাধ্য নন, এমনকি সেগুলো ঘরে রান্না করা হলেও। যিনি আপনাকে নিমন্ত্রণ করেছেন, তাঁকে বিনয়ের সঙ্গে জানিয়ে দিন আপনার অনিচ্ছার কথা৮সামাজিকতায় মনোযোগ দিন, খাবারে নয়সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়ে অন্যদের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে আলাপ করুন। এতে কোনো ক্যালরি বৃদ্ধির ঝুঁকি নেই। বসে বসে গল্প না করে দাঁড়িয়ে কথা বলুনসূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক/ইটরাইট ডট অরগ | 124,534 |
প্রতিনিধি, খুলনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মে ২০১৯, ২১:০৫ | ০৮ মে ২০১৯, ১১:৩৫ | ঘূর্ণিঝড় ফণী,খুলনা,খুলনা বিভাগ,নবজাতক | 0 | নবজাতক ফণীর পরিবার পাচ্ছে পাকা ঘর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1592705 | অন্য আর দশটা দিনের মতো গত শুক্রবার দিনটা স্বাভাবিক ছিল না উপকূলের মানুষের। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন এখানকার মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে না চাওয়া এই অঞ্চলের মানুষ শেষ পর্যন্ত দুপুর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে থাকেন। খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা মাসুম গাজী ও রেশমা খাতুন নামের এক দম্পতিও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেন। তাঁরা আশ্রয় নেন চালনা পৌরসভার মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন সেন্টারে। রেশমা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা।সেই অন্যরকম সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রেই রেশমার কোল আলো করে আসে এক কন্যা শিশু। আর ঝড়ের মধ্যে জন্ম নেওয়ায় শিশুটির নাম ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে ফণী আক্তার। সেদিন উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি জেনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। নবজাতকের বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মা গৃহিণী।গতকাল সোমবার খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশে ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কন্যা শিশুটির জন্য পোশাক, নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের অধীনে একটি পাকা ঘর করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।নবজাতকের বাবা মাসুম গাজী বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব জায়গা-জমি নেই। সরকারের পক্ষ থেকে পাকা ঘর পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। আমরা ভীষণ খুশি।’দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, জন্মের স্মৃতিকে স্মরণীয় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবজাতকের নাম রাখা হয় ফণী আক্তার। ওই পরিবারের বাসস্থানের খারাপ অবস্থা জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে তিনি একটি পাকা ঘর করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। তাদের এক খণ্ড জমি এবং সেখানে পাকা ঘর করে দেওয়া হবে। | 400,917 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৩০ | ০২ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৩১ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | কপোতমালা খেলাঘর আসরের সম্মেলন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/492538 | কপোতমালা খেলাঘর আসরের সম্মেলন গত ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি জহির আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খেলাঘরের নগর সভাপতি গাজী সালেহ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রোজী সেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহীন সেন, চিকিৎসক ললিত কুমার দত্ত, সংগঠনের সহসভাপতি জহির উদ্দিন মো. বাবর, সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুল ইসলাম, সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ মাহমুদ, সঞ্জয় দাশ প্রমুখ। সম্মেলনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। এরপর কপোতমালা খেলাঘর আসরের সদস্যদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সম্মেলনে ৩০ নম্বর পূর্বমাদারবাড়ি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহির আহমেদ চৌধুরীকে সভাপতি, সঞ্জয় দাশকে সাধারণ সম্পাদক ও রনি দাশকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি। | 127,993 |
অনলাইন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:১৪ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:১৫ | টেলিভিশন | 0 | আবারও জুটি জন-অপর্ণা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/441010 | এক বছর আগে ভালোবাসা দিবসের নাটকে জুটি হয়ে অভিনয় করেছিলেন সংগীতশিল্পী জন ও অভিনেত্রী অপর্ণা। ‘অতঃপর...’ নামের সে নাটকটির পরিচালক শাফায়েত মনসুর রানা। বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবারও একসঙ্গে নাটকে অভিনয় করতে যাচ্ছেন জন ও অপর্ণা। নাটকের নাম ‘আমি আকাশ পাঠাব’। এবারের নাটকটির পরিচালকও শাফায়েত মনসুর রানা।এ প্রসঙ্গে জন বলেন, ‘আমি তো অভিনেতা নই। তার পরও কাছের মানুষদের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। তাঁরা আমাকে ভেবেই গল্প তৈরি করেন। এবার কাজ করছি দর্শকের গল্পে। নির্মাতার কাছ থেকে গল্পটা শুনে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। নাটকটিতে নতুনত্ব থাকবে। আর নির্মাতার নির্মাণ নিয়ে নতুনভাবে বলার কিছু নেই। তাঁর সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটাও খুব চমৎকার।’অপর্ণা বলেন, ‘“ইচ্ছেঘুড়ি” ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে রানার সঙ্গে আমার পরিচয়। তাঁর সঙ্গে কাজ করার দ্বিতীয় দিন থেকেই মনে হয়েছে, এই নির্মাতার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা দুটোই রাখা যায়। এরপর আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। এবারের কাজটি নিয়ে আগাম কিছু বলতে চাই না। ভালো কিছু যে হবে, এটা পুরোপুরি নিশ্চিত।’জন প্রসঙ্গে অপর্ণা বলেন, ‘গত বছর ভালোবাসা দিবসে আমরা একসঙ্গে অভিনয় করি। সেই কাজটির জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছি। নাটকটিতে কাজ করতে গিয়ে শুরুতে খুব ভয় লাগছিল। কারণ, আমাদের কাছে ব্ল্যাক ব্যান্ডের জন ক্রাশ ছিলেন। পরে অবশ্য নির্মাতার সহযোগিতায় সেই ভয় কাটিয়ে উঠি। এবার সেই ভয়টা থাকবে না। কাজটি করার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি।’নাটকটির নির্মাতা রানা জানিয়েছেন, ৬ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটানা নাটকটির শুটিং করা হবে। এরই মধ্যে নাটকটির জন্য একটি গানও তৈরি করা হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন রানা নিজেই। গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি এটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন রাফা। | 111,855 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১৩ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৪০ | ১৩ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৫১ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/501826 | ‘সত্য বা রহস্য কাহিনি নিয়ে’কুয়াশাকথাবন্ধু শারমীনের সঙ্গেরাত ১১.২০ থেকে ২.০০মি. নুডলস মিউজিক ডিসকোরাত ৮.১০ থেকে ৮.৩০ | 131,108 |
ফরিদপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:০৬ | ১৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:০৭ | ফরিদপুর,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | ফরিদপুরে বিসিকের দুই মিলে ডাকাতি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/505711 | ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে অবস্থিত বিসিক শিল্পনগরের দুটি ডালের মিলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ৮-১০ জনের একদল ডাকাত ট্রাক নিয়ে ওই নগরে ঢুকে শ্রমিকদের মারধর করে মিল দুটি থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কেজি ডাল নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। ১৯৮৭ সালে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে বিসিক শিল্পনগর স্থাপন করা হয়। এ নগরে ২৪টি ডালের মিলসহ মোট ৪২টি শিল্পকারখানা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দুই ব্যবসায়ী জানান, ডাকাত দল একটি ট্রাক নিয়ে শিল্পনগরে প্রবেশ করে। তারা আনন্দ সাহার মালিকানাধীন জগৎবন্ধু ডাল মিলের শ্রমিকদের মারধর করে ৫৯ বস্তা মসুর ও মুগের ডাল ট্রাকে তোলে। এরপর ডাকাত দল পাশের বিকাশ সাহার মালিকানাধীন প্যারি ডাল মিলে ডাকাতি করে। সেখান থেকে তারা ৫৮ বস্তা মসুর ও মুগের ডাল ট্রাকে তুলে ফরিদপুর শহরের দিকে চলে যায়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুজ্জামান বলেন, ডাকাতির ঘটনায় দুই ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। | 132,144 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৫৭ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:০০ | ঢালিউড | 0 | ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব ১২ জানুয়ারি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1383231 | জানুয়ারিতে ঢাকায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ বলছে, আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যে উৎসবের আয়োজন করবে তারা। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ১৬তম আসর শুরু হবে ১২ জানুয়ারি। চলবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। গত বছরের মতো এবারও উৎসবের স্লোগান ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’।আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির উপদেষ্টা স্থপতি রবিউল হুসাইন, ম হামিদ, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী প্রমুখ।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। তিনি বলেন, ‘তিন দশক ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গন নানামুখী অবক্ষয়ের শিকার। এর ফলে সিনেমা হলগুলো আজ দর্শকশূন্যতায় ভুগছে। কিন্তু পাশাপাশি এ কথাও সত্য যে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দর্শক প্রকৃত চলচ্চিত্র উপভোগে আগ্রহী। চলচ্চিত্রের এই ক্রান্তিলগ্নে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র উত্সব আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য এবং এমন উত্সব যত বেশি হবে, আমাদের দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের দৈন্যদশা তত দূর হবে।’গত বছরের উৎসবের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তবে চলচ্চিত্র উৎসব বন্ধ হয়ে গেলে তা শহরের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষকে হতাশ করবে। তাই আমরা উদ্যোগী হয়েছি। যত ক্ষতিই হোক না কেন, আমরা উৎসবের আয়োজন করে যাব।’ তিনি আরও বলেন, আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যে থাকলেও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডসহ আরও কয়েকটি সংস্থা এগিয়ে আসায় এই উৎসবের আয়োজন সম্ভব হচ্ছে। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সেন্সর ফি পুরোপুরি মওকুফ করে দিয়েছে। উৎসব আয়োজন সম্পন্ন করতে আরও পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।এবার উৎসবে ৬০টি দেশের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উত্সবের মূল কেন্দ্র কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন। এর পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন ও প্রধান মিলনায়তন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন, রুশ সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং স্টার সিনেপ্লেক্সে উত্সবের চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার উৎসবের ৬০টির দেশের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ইতিমধ্যেই ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন, ফিলিপাইন, ইতালি, ইয়েমেন, ইরান, গ্রিস, আফগানিস্তান, কাজাখস্তান, ফ্রান্স, লেবানন, তুরস্ক, সিরিয়া, কাতার, মঙ্গোলিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, রাশিয়া, চেক রিপাবলিক, যুক্তরাষ্ট্র ও জর্দানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। উত্সবে বাংলাদেশের ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রসহ ২০টির বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবে ৮টি বিভাগে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে। বিভাগগুলো হলো এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেনস ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকারস সেকশন। এ ছাড়া আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি উৎসবের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকাবিষয়ক ‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স’ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।উত্সবের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজনে এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচক ফেডারেশনের সহযোগিতায় ‘প্রথম এশিয়ান ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসেম্বেলি’ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে এশিয়ার ২০টি দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র সমালোচকদের অংশ নেবেন। এ ছাড়া ৫ থেকে ২০ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে ‘অষ্টম ঢাকা আন্তর্জাতিক সিনে ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠিত হবে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তরুণ প্রজন্মকে চলচ্চিত্র ও সুস্থ ধারার বিনোদনমুখী করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উত্সব কর্তৃপক্ষ। জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন ও পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে প্রতিদিন সকাল ১০টা, বেলা ১টা ও ৩টার প্রদর্শনীতে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিনা মূল্যে চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পরবে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। পাবলিক লাইব্রেরির সকালের প্রদর্শনীগুলোয় সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষায়িত শিশুদের বিনা মূল্যে চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। | 347,325 |
-1 | sports | খেলা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৪:০৫ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৪:০৭ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | ‘বক্স’ খুললেই ফুটবল | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1047041 | তারা ক্রিকেটেরও জনক। তবে ফুটবলই সম্ভবত ইংল্যান্ডের প্রিয় সন্তান। উৎসবে এই সন্তানটিই বেশি আদর মাখে গায়! বড়দিনের উৎসব গেল কাল, আজ ‘বক্সিং ডে’। প্রায় দুই শ বছর পুরোনো রীতি, ক্রিসমাস বক্সে করে উপহার দেওয়ার দিন। তা উপহারটা কোনো বস্তুই হতে হবে, এমন বাঁধাধরা নিয়ম কে রেখেছে! কাল্পনিক বক্সটা খুলে উপহার হিসেবে ক্রিকেট-ফুটবল পেলেই বা মন্দ কী! অস্ট্রেলিয়া প্রতিবছর বক্সিং ডেতে ঘটা করে আয়োজন করে টেস্ট, কয়েক বছর ধরে নিজেদের মাঠে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার নিউজিল্যান্ডও ওয়ানডে খেলছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। কিন্তু ইংল্যান্ড মজে থাকে ফুটবলে। ক্রিকেট থাকে মাঝেমধ্যে, কিন্তু ব্রিটিশদের যেন বড়দিনে ফুটবলের স্বাদটা না পেলে চলেই না। এবারও থাকছে। ইংলিশ ফুটবলের ভক্তরা মোটামুটি ক্রিসমাস বক্স খুলে ধামাকা উপহারই আশা করতে পারেন। ২০ দলের ১৬টিই যে মাঠে নামছে আজ!তবে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ বেশি বড় দলগুলোকে ঘিরে। লিগ শীর্ষে থাকা চেলসি ঘরের মাঠে খেলবে বোর্নমাউথের বিপক্ষে। তিনে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি বেরোবে ভ্রমণে, গন্তব্য হাল সিটি। ঘরের মাঠে আর্সেনালের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট হাম, চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটি খেলবে এভারটনের বিপক্ষে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে লড়াইটা তো বিশেষ—‘স্পেশাল ওয়ান বনাম চোজেন ওয়ান’। সাবেক কোচ ডেভিড ময়েসের সান্ডারল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে হোসে মরিনহোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আন্তোনিও কন্তে ও পেপ গার্দিওলার জন্য এ নতুন অভিজ্ঞতা। চেলসি কোচ কন্তে এর আগে ক্লাব ফুটবলে পুরোটা সময় কাটিয়েছেন ইতালিতে, সেখানে বড়দিন ও নববর্ষে ছুটি থাকে। সিটি কোচ গার্দিওলাও স্পেন-জার্মানিতে বড়দিনে ছুটি কাটিয়েছেন। বড়দিনে ‘অফিস’ দুজনেরই আজ প্রথম। তা অফিসে ভালো একটি দিনই আশা করছেন কন্তে, ‘আমি ও আমার পরিবারের জন্য বছরের এই দিনে কাজ করা, ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। দুর্দান্ত একটা অভিজ্ঞতাই হতে পারে এটি, আশা করি হবেও।’ কন্তের কাছে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা মানে তো জয়, আজ বোর্নমাউথের বিপক্ষে তা পেলে সেটি হবে লিগে চেলসির টানা ১২তম। এক মৌসুমে টানা জয়ে যা ক্লাব রেকর্ডও হবে। তবে কাজটা সহজ হবে না, চেলসি আজ পাচ্ছে না ডিয়েগো কস্তা ও এনগোলো কান্তেকে। লিগে সর্বশেষ ম্যাচে আর্সেনালকে হারানো সিটির কোচ গার্দিওলা হিসাবি ‘প্রথম’ বক্সিং ডে ম্যাচ ঘিরে, ‘লোকে বলে, বড়দিনের সময়টাতে আরও বেশি মনোযোগী হতে হয়। আমরা এটিকে বড়দিন বা বক্সিং ডে নয় ভেবেই প্রস্তুত হব।’ ইউনাইটেড দেখবে অতীত ও বর্তমানের লড়াই। মরিনহো আছেন, প্রতিপক্ষ ডাগআউটে দাঁড়াবেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের উত্তরসূরি হিসেবে ‘বাছাইকৃত’ ডেভিড ময়েস। যদিও ১০ মাসের মধ্যে ইউনাইটেড থেকে একরকম বিতাড়িত হয়েছিলেন। তারপর এবারই প্রথম ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফেরা, সান্ডারল্যান্ডের কোচ ময়েস আজ ইউনাইটেডের উৎসবকে পণ্ড করতেই চাইবেন। এএফপি। | 277,467 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১১:১৯ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১১:২০ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | বার্সা–রিয়ালকে ছাড়িয়ে অ্যাটলেটিকো | http://www.prothom-alo.com/sports/article/729772 | বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশিই খেলেছে তারা। তার পরও লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষারোহণ বলে কথা! শনিবার লেভান্তের বিপক্ষে টমাস পার্টির গোলে জিতে লিগের শীর্ষে ওঠাটা তাই উদ্যাপিতই হচ্ছে অ্যাটলেটিকো শিবিরে। বার্সেলোনার চেয়ে ২ পয়েন্ট আর নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থাকাটা তো উদ্যাপন করার মতো উপলক্ষই। তবে সিংহাসনে অ্যাটলেটিকো কদিন থাকতে পারবে, তা একটা প্রশ্ন বটে। বার্সেলোনা পরের ম্যাচটা জিতলেই আবার ফিরে পাবে শীর্ষস্থান। রিয়ালের তরফ থেকে অবশ্য হুমকির মাত্রাটা একটু কমই। ৫ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকায় আজকের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জিতলেও অ্যাটলেটিকোর চেয়ে ২ পয়েন্টে পিছিয়েই থাকবে তারা। তবে শনিবার অ্যাটলেটিকোর জয় আর বার্সার ড্র লা লিগার শিরোপা লড়াইটাকে ভালোই জমিয়ে তুলেছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে যেকোনো কোচ দলের কাছ থেকে যা চাইবেন, ডিয়েগো সিমিওনেও তা-ই চাইছেন। অ্যাটলেটিকোর আর্জেন্টাইন কোচের ভালোই জানা, মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো মরণ-কামড়ই দিতে চাইবে। সেটি জয় করে সাফল্য পেতে হলে খেলোয়াড়দের ছাড়িয়ে যেতে হবে নিজেদের। পুরো মৌসুমজুড়েই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে নির্ভরতা যুগিয়ে আসছে শক্তিশালী রক্ষণভাগ। লিগের ১৮ ম্যাচে মাত্র ৮ গোল খাওয়াটা সেটিরই প্রমাণ। লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল অ্যাটলেটিকোর ‘গোল না খাওয়া’ ১১ তম ম্যাচ। তবে অ্যাটলেটিকোকে যথেষ্ট ভোগাচ্ছে তাদের ‘গোল করতে না পারার’ ব্যাপারটি। ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার টমাস পার্টির প্রথম গোলকে এই সমস্যার সমাধান ভাবাটা একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যায়। দুই বছর আগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ লা লিগাকে ‘দুই ঘোড়ার দৌড়’-এর অপবাদ থেকে মুক্ত করেছিল। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে জিতেছিল শিরোপা। কিন্তু সে মৌসুমে অ্যাটলেটিকোর খেলার মধ্যে যে ‘বারুদ’ দেখা গিয়েছিল, সেটা কী এই মৌসুমে আছে? সিমিওনে মনে করেন, সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে হলে সেই ‘বারুদ’টারই বড় প্রয়োজন মাঠে। অ্যাটলেটিকো এখনো সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেনি বলেই দাবি সিমিওনের, ‘আমার দলের আরও ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। আমরা আরও গতিতে খেলতে পারি। আরও বেশি ধারাবাহিক হতে পারি। ফাইনাল থার্ডে আমাদের আরও ভালো পাস দেওয়ার সামর্থ্যও আছে। তবে আমরা যে গোল পাচ্ছি না, আর এটাই আমাকে ভাবাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।’ শুধু লা লিগা নয়, সিমিওনে ও অ্যাটলেটিকোর আকাশে আছে কোপা ডেল রে ও চ্যাম্পিয়নস লিগও। দুটিরই শেষ ষোলোয় উঠেছে অ্যাটলেটিকো। সম্ভাবনার বিচারে তাই অ্যাটলেটিকো দুই স্প্যানিশ পরাশক্তির চেয়ে একটুও পিছিয়ে নয়। সূত্র: এএফপি। | 188,860 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১২ এপ্রিল ২০১৮, ১১:০১ | ১২ এপ্রিল ২০১৮, ১২:১৬ | ফুটবল,রিয়াল মাদ্রিদ | null | স্নায়ুক্ষয়ী সেই শেষ ১০ মিনিট | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1468371 | রিয়াল-জুভেন্টাস ফিরতি লেগের যোগ করা সময় উত্তেজনায় ঠাসা ছিলপেনাল্টির প্রতিবাদে লাল কার্ড দেখেছেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক বুফনঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে ৩-০ গোলে পিছিয়ে ছিল জুভেন্টাস। ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো যে প্রায় অসম্ভব, তা জানা ছিল সবার। কিন্তু বার্সেলোনার বিপক্ষে আগের রাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়েছে এএস রোমা। জুভেন্টাস কি তা দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিল? ৭৬ সেকেন্ডে মারিও মানজুকিচের গোলটা ছিল ইতালিয়ান ক্লাবটির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রথম পদক্ষেপ। এটা আবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্নাব্যুতে করা দ্রুততম গোল! তখনই সবাই যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। ম্যাচটা হতে যাচ্ছে উত্তেজনার ঠাসবুনটে লেখা এক চিত্রনাট্য!ঘটেছেও ঠিক তা–ই। ৬০ মিনিটের মধ্যে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে সমতায় ফিরেছে জুভেন্টাস। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে মনে হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে লড়াই। কিন্তু যোগ করা সময়ে কী থেকে যেন কী ঘটে গেল! ৯০ থেকে ৯৯—এই ১০ মিনিট দুই দলের সমর্থকেরা কতটা স্নায়ুচাপে ছিলেন, সেটা ম্যাচটা যাঁরা দেখেছেন, শুধু তাঁরাই বলতে পারবেন। আসুন ফিরে দেখি উত্তেজনায় ঠাসা সেই ১০ মিনিট:৯০ মিনিট: জুভেন্টাসের বক্সে রিয়াল মাদ্রিদের লুকাস ভাসকুয়েজকে ফেলে দিলেন মেধি বেনাশিয়া। পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন ইংরেজ রেফারি মাইকেল অলিভার। হলুদ কার্ডও দেখালেন বেনাশিয়াকে। প্রতিবাদে মুখর ‘জুভ’ খেলোয়াড়েরা ঘিরে ধরলেন রেফারিকে।৯৩ মিনিট: বিক্ষুব্ধ জুভেন্টাস গোলরক্ষক বুফন মারমুখো ভঙ্গিতে ছুটে এলেন রেফারির প্রতি। পেনাল্টির প্রতিবাদে রেফারির দিকে বারবার আঙুল তুলেও কিছু একটা বোঝালেন। পরিণামে দেখতে হলো লাল কার্ড। বুফনের চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম লাল কার্ড।৯৬ মিনিট: মাঠ ছাড়লেন বুফন। জুভেন্টাস স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েনের বদলে মাঠে নামলেন আর্সেনালের সাবেক গোলরক্ষক ওজিচিয়েহ সিজেস্কনি।৯৭ মিনিট: রোনালদোর স্নায়ু কী ধাতুতেই না গড়া! ভীষণ চাপের মুহূর্তেও গোলপোস্টের ডান প্রান্তের কোনা ঘেঁষে শট নিলেন এবং গোল। শটটা একটু এদিক-সেদিক হলেই মাথা চাপড়াতে হতো।৯৮ মিনিট: জয়সূচক গোলের আনন্দে জার্সি খুলে বুনো উল্লাস রোনালদোর। রেফারি তাঁর কাজ করলেন। হলুদ কার্ড দেখালেন রিয়াল ফরোয়ার্ডকে।৯৯ মিনিট: ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজালেন রেফারি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের জয়ে রিয়াল সেমিফাইনালে।ম্যাচের উত্তেজনাকর মুহূর্তের ভিডিও লিংক: | 360,817 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৩, ০৩:৩০ | ০৭ নভেম্বর ২০১৩, ০৩:৩০ | সরকার | null | গোটা ব্যাংক খাত বিবেচনায় বড় ঘটনা নয় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/67657 | অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মনে করেন, হল-মার্ক কেলেঙ্কারিকে গোটা ব্যাংক খাত বিবেচনায় নিলে এটি আসলে নোটিশে আনার মতো ঘটনা নয়। তবে সোনালী ব্যাংকের একক ঘটনা হিসেবে বড় ধরনের জালিয়াতি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও হল-মার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম যে, গোটা ব্যাংক খাতের জন্য এটা এমন কিছু নয়। চার লাখ কোটি টাকার ব্যাংক খাতের মধ্যে চার হাজার কোটি টাকা নাথিং (কিছুই না)। কিন্তু আমার বক্তব্য তখন খণ্ডিতভাবে পত্রিকায় এসেছিল। তবে এটা ঠিক যে, এককভাবে সোনালী ব্যাংকের জন্য এই কেলেঙ্কারি অনেক বড় কিছু।’সচিবালয়ে গতকাল বুধবার সোনালী ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, দুনিয়াজুড়েই ব্যাংক খাতে কিছু না কিছু চুরি-জালিয়াতি হয়। এসব মেনে নিয়েই ব্যবসা করতে হবে এ খাতকে। সোনালী ব্যাংকের জালিয়াতিও বিরাট জালিয়াতি। তবে এর সঙ্গে শুধু হল-মার্ক নয়, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারাও জড়িত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ নিয়ে কাজ করছে। অভিযোগপত্রে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২৪ জনের নাম রয়েছে।হল-মার্কসহ আরও কয়েকটি অসৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী সোনালী ব্যাংক থেকে নানা জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১০-১২ সময়কালে চার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকলে গত বছর অর্থমন্ত্রী ‘চার হাজার কোটি টাকা খুব বড় কিছু নয়’ বলে মন্তব্য করেন। দেশজুড়ে তখন অর্থমন্ত্রীর বিরূপ সমালোচনা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে সোনালী ব্যাংকের নতুন পর্ষদকে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী। কী পরামর্শ দিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার পরামর্শ ছিল কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে তা শনাক্তকরণ করা। সেটি হয়েছে।’হল-মার্কের কাছ থেকে যতটুকু আদায় করা যায়, তা আদায় করা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাকি অর্থ আদায়ের জন্য মামলা করা ছাড়া উপায় নেই। বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত হল-মার্কের সম্পদের মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। এর পরিমাণ এক হাজার ১৭০ কোটি টাকা। এ সম্পদ সোনালী ব্যাংকের মালিকানায় আনতে হলে মামলার প্রয়োজন হবে বলে মনে করেন তিনিও। সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করা ২২ হাজার কোটি টাকা রয়েছে সোনালী ব্যাংকের। সোনালী ব্যাংক সুদ পায় ৭ শতাংশ। এ ছাড়া ২৬টি ব্যাংকের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের এক হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তি আটকে রয়েছে। এসব তথ্য উল্লেখ করে প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, বন্ডের সুদের হার বৃদ্ধিসহ উভয় ব্যাপারেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের এসব দাবি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। | 26,029 |
আব্দুল কুদ্দুস ও রুহুল বয়ান | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ আগস্ট ২০১৫, ০২:০৬ | ২৩ আগস্ট ২০১৫, ০২:০৭ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | অধিগ্রহণ করা জমিতে চিংড়িঘের! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/610162 | কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে চলছে চিংড়ি চাষ। ইতিমধ্যে ৬০৪ একর জমি দখল করে ১০টি চিংড়িঘের করেছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। চিংড়িঘের তৈরিতে জমি পাহারার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।কক্সবাজার জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয় সূত্র জানায়, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১৪ একর জমির ওপর প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিগ্রহণ করা ১ হাজার ৪১৪ একর জমি ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিডেটের কাছে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন। কোল পাওয়ার জেনারেশন আনসার সদস্য নিয়োগ দিয়ে অধিগ্রহণ করা জমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। ১৬ আগস্ট সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকায় বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছোট-বড় ১০টি চিংড়িঘের। এসব চিংড়িঘের পাশাপাশি। মগডেইল্যার ঘোনায় গেলে কথা হয় সেখানকার কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, এই ঘেরের আয়তন প্রায় ১৮২ একর। গত জুন মাসে ঘেরে পোনা ছাড়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ চিংড়ি বিক্রি করা হবে। এর পাশে আনিছেরদিয়া ঘোনায় চিংড়ি চাষ হচ্ছে ১২০ একরে। এ ছাড়া মগবাড়িতে ৫০, উলুখালীতে ৮০, রাঙাখালীতে ৩৫, সোয়াখালীতে ২০, রুস্তমের দোনায় ৫৭, সাতাইশজইন্যায় ২৫, তেইশজন্যায় ১০ ও ইউসুফের বাপের ঘোনায় ২৫ একরে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার ৬০৪ একর জমিতে অবৈধ চিংড়িঘের রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন সূত্র। স্থানীয় মগডেইল গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক ও নুর কাদের জানান, প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে মাতারবাড়ীর জেলেরা মাছ ধরতে গেলে আনসার সদস্যরা লাঠিপেটা করেন। অথচ আনসার পাহারায় সেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চিংড়িঘের করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে। কারণ, প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করায় ৩০ হাজারের বেশি মৎস্যজীবী মানুষ বেকার জীবন কাটাচ্ছেন।মাতারবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পক্ষে আন্দোলনকারী মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আনসার কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অধিগ্রহণ করা জমিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চিংড়িঘের করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এখন প্রকল্পের অন্যান্য জমি দখল করে আরও কিছু চিংড়িঘের তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে ন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।’ মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরীও অধিগ্রহণ করা জমিতে চিংড়িঘের তৈরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানিকে জানানো হয়েছে।অধিগ্রহণকৃত জমি পাহারার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন তাঁর যোগসাজশে চিংড়ি চাষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘অধিগ্রহণ করা জমিতে আগেও ১৬টি চিংড়িঘের ছিল। এখন রাতের অন্ধকারে ওই সব ঘের দখল করে চিংড়ি চাষ চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়েছি।’ তাঁর দাবি, এখন প্রকল্প এলাকায় কোনো চিংড়িঘের নেই। এ প্রসঙ্গে কোল পাওয়া জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ আলম বলেন, ‘প্রকল্প এলাকার ভেতরে চিংড়ি চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এলাকার কিছু দুষ্কৃতকারী অধিগ্রহণ করা জমি দখল করে চিংড়ি চাষ করছেন। কিছুদিন আগে পাঁচটি চিংড়িঘেরের বাঁধ কেটে দেওয়া হলেও সেখানে পুনরায় মাছ চাষ হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আনসার কমান্ডার টাকা নিয়ে চিংড়িঘের করার সুযোগ দিচ্ছেন বলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের বলেন, ‘অধিগ্রহণ করা ১ হাজার ৪১৪ একর জমি আমরা বহু আগে কোল পাওয়ারকে বুিঝয়ে দিয়েছি। এসব জমি দেখাশোনার দায়িত্ব কোল পাওয়ারের। তবে অবৈধ চিংড়িঘের উচ্ছেদের জন্য তারা সহযোগিতা চাইলে প্রশাসন প্রস্তুত আছে।’ | 162,280 |
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ আগস্ট ২০১৬, ২২:০৩ | ২৭ আগস্ট ২০১৬, ২২:০৪ | সৈয়দপুর,নীলফামারী,রংপুর বিভাগ,অপরাধ | 0 | মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/959509 | নীলফামারীর সৈয়দপুরে ছোট সাহেব ওরফে জামিল (২৫) নামের মাদকাসক্ত এক ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা।আজ শনিবার সন্ধ্যায় সৈয়দপুর শহরের নয়াটোলা মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে। জামিল ওই এলাকার মো. বশির উদ্দিন ও জামিলা বেগমের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত জামিলকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।জামিলের মা জামিলা বেগম বলেন, ‘অনেক আদরের সন্তানকে পুলিশে দিলাম। মাদক ছেড়ে দেবে এই আশায় কিছুদিন আগে তাঁর বিয়ে দিয়েছি। এরপর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে সে। টাকা চুরি, আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ নববধূকে নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে তাঁকে পুলিশে দিয়েছি।’সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, জামিলের মা তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুবুল আলম রায়ে জামিলের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। | 253,677 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪৯ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪৯ | কুমিল্লা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজন ধর্ষণের শিকার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/642358 | কুমিল্লার চান্দিনায় ১৩ বছরের এক শিশুকে তার প্রতিবেশী ধর্ষণ করেছে। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলায় এক কলেজছাত্রী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নে গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক তরুণকে (১৮) গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।শিশুটির ভাই বলেন, গত রোববার রাত ১০টার দিকে ওই তরুণ তাঁর বোনকে বাড়ির পাশের বাগানে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁর বোন পরিবারের লোকজনকে ঘটনার কথা জানায়। পরে তাঁকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। গত সোমবার তার ভাই থানায় অভিযোগ করেন।চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন। ধর্ষণের ঘটনা তরুণটি স্বীকার করেছেন।এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলায় গত রোববার রাতে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ও পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রী উপজেলার স্থানীয় একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। কয়েক মাস আগে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের এক ছেলের (২০) সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছেলেটি ছাত্রীকে কয়েকবার বিয়ের কথাও বলেছেন। গত রোববার রাতে ছেলেটি ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে তাঁর বাবা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন এবং ছেলেটিকে আটক করেন। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গতকাল আশুগঞ্জ থানায় ছাত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। | 172,381 |
ইকবাল খান | education | শিক্ষা | ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ০০:২৮ | ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ০০:২৯ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি | http://www.prothom-alo.com/education/article/839755 | আনসিন প্যাসেজপ্রিয় শিক্ষার্থী, গতকাল দেওয়া আনসিন প্যাসেজ থেকে বাকি প্রশ্নোত্তর আজ দেওয়া হলো।7. Answer the following questions in a sentence or sentences.a) How did the woodcutter earn his livelihood?b) What made the woodcutter upset? Why? c) What did the fairy do and why?d) Do you think the woodcutter was honest? Why?e) What is the moral of the story? Answer to the question no. 7 a) The woodcutter earned his livelihood by cutting woods and selling them in the market.b) The loss of his axe in the river made the woodcutter upset. He was upset because the axe was his only means of earning.c) The fairy dived three times into the river for bringing the lost axe of the woodcutter. d) Yes, I think the woodcutter was honest. Because he refused the axes made of gold and silver. e) The moral of the story is ‘honesty is the best policy’. 8. Write a short composition on ‘Honesty is the Best Policy’ in at least 5 sentences by answering the following questions.a) How is honesty the best policy? b) How is a dishonest person’s success? c) How is an honest person treated? d) How is a dishonest person treated? e) Why cannot a dishonest person face the reality?Answer to the question no. 8Honesty is the Best PolicyIt is true that honesty is the best policy. A dishonest person may shine for a short time. An honest person is respected by all. There is no place for dishonest people on earth as nobody loves them. A dishonest person cannot face the reality because he tells hundred lies to hide one act of dishonesty. 9. Suppose, you are Sreoshy. Sadia is your friend. She wanted you to tell her a story about the reward of honesty. Now, write a letter to your friend telling her about it in at least 6 sentences. Use the following cues. Here are some words to help you : address, date, salutation, main points of the letter, closing.Answer to the question no. 9Singair, ManikgonjApril 25, 2016 Dear Sadia, I received your letter yesterday. You wanted me to tell you a story about the reward of honesty. I am gladly writing you about it.Once there was a poor man called Suruj Ali. He had been working in a mango orchard for about three years. One day, his master Hamidur Rahman came to visit the orchard along with some of his friends. He asked Suruj Ali to bring them some sweet mangoes. Suruj Ali brought them some mangoes but they were very sour. Then Suruj Ali went back to the orchard and brought some mangoes again. But this time too the mangoes were sour. The master got angry. He asked Suruj Ali why he did not know which mangoes were sweet. Suruj Ali replied that he did not know because he never ate any mango from the orchard. The master became happy at Suruj Ali’s honesty and rewarded him. No more today. Hope to hear from you soon.Lovingly yours, Sreoshy.শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | 223,519 |
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৯:১২ | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৯:১৪ | টেকনাফ,কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ | 0 | বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মিয়ানমারের নাগরিক নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/721537 | কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গতকাল বুধবার গভীর রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমারের ইয়াবা বড়ি পাচারকারীদের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির বাড়ি মিয়ানমারের মংডু এলাকায়।২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদের ভাষ্য, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়ির একটি চালান বাংলাদেশে পাচার করা হবে, এমন তথ্য পায় বিজিবি। তারই সূত্র ধরে, বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল রাতে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। দিবাগত রাত দুটার দিকে সন্দেহভাজন একটি নৌকা বেড়িবাঁধে ভিড়ানো হলে তাদের থামানোর সংকেত দেয় বিজিবি। ওই নৌকায় থাকা চারজন লোক বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুড়লে পালিয়ে যাওয়ার সময় সলিম উল্লাহ নামে (৩৫) একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই এলাকায় তল্লাশি চালালে বেড়িবাঁধের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোহাম্মদ দরবেশকে (২০) পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি পিস্তল, দুটি লম্বা কিরিচ ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত নৌকাটি জব্দ করা হয়। পরে মোহাম্মদ দরবেশকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আটক সলিম উল্লাহকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। নিহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বাড়ি মিয়ানমারের মংডু থানার ডেইলপাড়ার গ্রামে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, মাদকদ্রব্য পরিবহন ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে পলাতক দুজনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে বিজিবি। | 186,100 |
রাজশাহী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৬ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৭ | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,বিশাল বাংলা,রাজনীতি | 0 | ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1031531 | ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৫তম সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে পদপ্রত্যাশী নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে ক্যাম্পাস।গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধিদল এসে পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ৭০ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু হুসাইন। আরও জীবনবৃত্তান্ত জমা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।পদপ্রত্যাশী রাজশাহীর বাইরের তিনজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, কমিটিতে স্থানীয়দের প্রাধান্য দেওয়া হয়। বাইরের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ধরে রাখতে কমিটিতে ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিনিধিদলটির আসা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা চাই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব নেতা আসুক।’আরেক সহসভাপতি আবু হুসাইন বলেন, যোগ্য ও ত্যাগী প্রার্থীকেই মনোনীত করা হবে। | 270,260 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:২৫ | ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:০৮ | সরকার,পবিত্র হজ,ইসলাম ধর্ম,ধর্মীয় উৎসব | null | ঢাকাতেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করবেন বাংলাদেশের হজযাত্রীরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1588152 | বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য সহজ হচ্ছে হজযাত্রা। এখন থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন বাংলাদেশি হজযাত্রীরা। এর আগে সৌদি আরবে পৌঁছে বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে এই অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হতো।বাংলাদেশিদের হজযাত্রা সুগম করতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সৌদি আরবে যায়। মঙ্গলবার রাতে ফিরতি সফরে বাংলাদেশে এসেছে সৌদি আরবের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন বাংলাদেশি হজযাত্রীরা। আনিসুর রহমান বলেন, ‘এখন থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা সৌদি আরবের বিমানবন্দরে নেমে কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সেই দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।’গত দুই বছর ধরেই হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়ে আসছিল। | 397,674 |
কাজী এস হোসেন | life-style | জীবনযাপন | ১৬ মার্চ ২০১৪, ০১:২২ | ১৬ মার্চ ২০১৪, ০১:২৪ | আপনার রাশিফল,রাশিফল | 0 | আ প না র রা শি ফ ল | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/169597 | আজ ১৬ মার্চ। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি মীন রাশির জাতক-জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৩ ও ৭। গুরুত্বপূর্ণ দিন সোম ও বৃহস্পতিবার। শুভ রং—শ্যাওলা সবুজ, নীল, মেরুন। শুভ রত্ন-অ্যাকুয়ামেরিন, মুন স্টোন। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব- লেখক রাজ শেখর বসু, বিজ্ঞানী জর্জ সিমন ওহম, সাংবাদিক নাজিমউদ্দিন মোস্তান। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। বেকারদের কারও কারও বিদেশ যাত্রার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে। যে কোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। প্রেমের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাবেন।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশ যাত্রার সুযোগ আসতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ। প্রেমের ব্যাপারে অন্যের দেওয়া তথ্য যাচাই করে নিন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)কর্মস্থলে তথ্যবিভ্রাটের কারণে সাময়িক জটিলতা দেখা দিতে পারে। প্রেমের ঝড়ো হাওয়া আজ কারও মনকে নাড়া দিতে পারে। সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য প্রশংসিত হবেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুন।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)দিনের শুরুতেইঅ আর্থিক বিষয়ে কোনো সুখবর পেতে পারেন। যে কোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পাওনা আদায় হবে। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। প্রবাসী কারও সঙ্গে প্রেমের সূচনা হতে পারে। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মস্থলে অন্যের কথা বিশ্বাস করে ঠকতে হতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। পাওনা আদায় হবে। আজ কারও কারও মনে পেমের ছোঁয়া লাগতে পারে।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিধেশ যাত্রার সুযোগ আসতে পারে। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পেতে পারেন। হারিয়ে যাওয়া কোনো মূল্যবান জিনিস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)কর্মস্থলে কারও সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য অর্জিত হতে পারে। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেসেরশুভ সূচনা হতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ। রাজনৈতিক তৎপরতা এড়িয়ে চলুন।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)কর্মস্থলে অপরিচিত কারও সহযোগিতা পেতে পারেন। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসতে পারে। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)কর্মস্থলে গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে অধস্তনদের উপর নির্ভর করা উচিত হবে না। ফাটকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। আজ কারও কারও মনে পেমের ছোঁয়া লাগতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া কোনো সুসংবাদ দিয়ে। প্রেমের ঝড়ো হাওয়া আজ কারও কারও মনকে নাড়া দিতে পারে। দূরে কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার জন্য দিনটি শুভ। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। চাকরিতে কারও কারও বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। বৈদেশিক যোগাযোগ শুভ। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে। | 58,754 |
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:০৬ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:০৬ | ঠাকুরগাঁও,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ফিরে ফিরে আসে পানকৌড়ি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/76054 | সূর্য যখন পশ্চিম দিকে হেলতে শুরু করে, সোনালি আভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো শিমুলগাছটি আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সেই আলো গাছের মগডাল ও সবুজ পাতার আড়ালে থাকা পানকৌড়িগুলোকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। একটি গাছে একসঙ্গে এত পাখি দেখে আকৃষ্ট হন পথচারীরা।ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রানীশংকৈল-কাঁঠালডাঙ্গী সড়কে কুলিক নদের পাশে কেউটান গ্রামের শিমুলগাছটিতে এবারও বাসা বাঁধতে শুরু করেছে জলচর পাখি পানকৌড়িরা।ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদ জাহাঙ্গীরের মতে, প্রাণীকুলের স্বভাব হলো তারা যেখানে নিরাপদ মনে করে, সেখানেই আশ্রয় নেয়। সেই আশ্রয়ে বাসাও বাঁধে। নিরাপত্তার কারণেই পানকৌড়িগুলো কেউটান গ্রামের শিমুলগাছে বাসা বাঁধছে বছরের পর বছর।শিমুলগাছটির মালিক যাদব রায় জানান, বছর ছয়েক আগে এক অগ্রহায়ণ মাসের বিকেলে চার-পাঁচটি পাখি এসে শিমুলগাছের ডালে বসে। পরদিন আরও কয়েকটি পাখি আসে। এর কয়েক দিন পর পাখিতে ভরে যায় গোটা গাছ। পাখিগুলোকে আগলে রাখতে শুরু করেন গ্রামের মানুষ। পাখিগুলোর মধ্যে অধিকাংশই পানকৌড়ি। প্রতিবছর বাড়তে থাকে পাখিদের আনাগোনা। রাতে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সকাল হলেই পাখিগুলো খাদ্যের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। নীড়ে ফিরে আসে আবার সন্ধ্যায়। সারা বছর ওই শিমুলগাছে বিভিন্ন প্রজাতির কোনো না কোনো পাখি থাকে। তবে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পাখি আসে। সে সময় পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা।সরেজমিনে দেখা গেছে, রানীশংকৈল-কাঁঠালডাঙ্গী সড়কে কুলিক নদের পাশে সব গাছ ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে আছে একটি শিমুলগাছ। ডালে ডালে শুধু পাখি আর পাখি। শিমুলগাছটির ১০০ গজ দূরে চায়ের দোকানের মালিক চরণ দাস বলেন, ২০০-৩০০ পানকৌড়ি এই গাছে বাসা বেঁধেছে। প্রতিবছর এখানে হাজারের ওপর পানকৌড়ি আসে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক লোক এখানে পাখি দেখতে আসে।একটি গাছে কখনো এত পানকৌড়ি একসঙ্গে দেখেননি রানীশংকৈল উপজেলার বাসিন্দা ও বেসরকারি সংস্থার কর্মী আনছুরা বেগম। তিনি বললেন, ‘ঝাঁকে ঝাঁকে অনেক পাখি যখন উড়ে আসে, তখন দেখতে খুব ভালো লাগে।’রানীশংকৈলের হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুব আলম জানান, পাখি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। | 28,856 |
প্রতিনিধি,নাটোর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জুন ২০১৯, ১৫:১৩ | ১৭ জুন ২০১৯, ১৩:১৭ | যাতায়াত,নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,বাগাতিপাড়া,ভোগান্তি | null | বিল না পাওয়ায় গর্ত খুঁড়ে দিয়েছেন ইউপি সদস্য! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1598709 | রাস্তার নির্মাণকাজের বিল না পাওয়ায় রাস্তায় বিরাট গর্ত করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য। তিনি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাদশা মিয়া। রাস্তায় গর্ত করার বিষয়টি তিনি স্বীকারও করেছেন। গর্তের কারণে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।পাঁকা ইউপি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিএসপি) একটি প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চকগোয়াস কুলপাড়ায় ৬০ মিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ করেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাদশা মিয়া। রাস্তাটি চূড়ান্ত পরিদর্শনের অপেক্ষায় রয়েছে। হঠাৎ করে গতকাল সকালে এলাকাবাসী দেখতে পান, ওই রাস্তার মাঝে তিন ফুট গভীর গর্ত করা হয়েছে। এলাকাবাসী এর কারণ জানতে চাইলে ওই ইউপি সদস্য জানান, তিনি রাস্তা নির্মাণকাজের বিল চেয়ে পাচ্ছেন না। উপজেলা প্রকল্প অফিস থেকে বলা হচ্ছে, চূড়ান্ত পরিদর্শন না হওয়া পর্যন্ত বিল দেওয়া যাবে না। যানবাহন চলাচলের কারণে নতুন রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক দিন পর পরিদর্শন করা হলে নির্মাণকাজ দেখে সন্তুষ্ট হতে পারবেন না পরিদর্শক দল। তাই বিল না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে রাস্তার মাঝে গর্ত করেছেন।বিরাট গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না ওই রাস্তায়। শুধু হেঁটে যাতায়াত করছেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় একজন শিক্ষক পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জনপ্রতিনিধি হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা অন্যায়। এ জন্য ওই সদস্যের শাস্তি হওয়া দরকার। রাস্তায় গর্ত করার কথা স্বীকার করে ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া বলেন, ‘রাস্তা পরিদর্শনে বিলম্বের ফলে নতুন রাস্তাটি প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে রাস্তার কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আমি সাময়িকভাবে গর্ত করিয়েছি। পরিদর্শন শেষে কাজের বিল পেলে গর্ত ভরাট করে আবার রাস্তাটি চালু করা হবে।’এ ব্যাপারে ১ নম্বর পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছেন। ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত জনদুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা নেবেন। | 405,619 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ | সময়সূচি, লাইভ স্কোর, পয়েন্ট টেবিল, কুইজ ও খেলার আপডেট নিউজ | ০৮ জুন ২০১৭, ২১:৪৭ | ০৮ জুন ২০১৭, ২২:০৩ | ক্রিকেট,চ্যাম্পিয়নস ট্রফি | null | ‘একটা সময় সাকিব একাই জিতিয়েছে’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1210211 | চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এখনো নিজের ছায়া হয়ে আছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স নিয়ে চারদিকে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে অতীতে সাকিবের অর্জন-কীর্তি মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁর একসময়ের সতীর্থ শাহরিয়ার নাফীস। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ওপেনার সাকিবকেও মনে করিয়ে দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিষ্ঠুর দিকটা। বিস্তারিত : ভিডিও | 322,179 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১২ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:৫৪ | ১২ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:০৫ | বলিউড | 0 | ছবির প্রচারে একসঙ্গে ক্যাটরিনা-রণবীর | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1143461 | অবশেষে রণবীর কাপুর ও ক্যাটরিনা কাইফের ‘জাগগা জাসুস’-এর কাজ শেষ হলো। প্রায় চার বছর ধরে শুটিং চলার পর এ বছর ১৪ জুলাই ছবির মুক্তির দিন ঠিক করা হয়েছে। ছবির প্রধান দুই শিল্পী রণবীর ও ক্যাটরিনার সম্পর্ক খারাপ চলায় অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন, এ বছরে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়তো মুশকিল হবে। অবশেষে তাঁদের সম্পর্কের বরফ বুঝি কিছুটা গলেছে। রণবীর জানিয়েছেন, ক্যাট ও তিনি একই সঙ্গে এই ছবির প্রচারে অংশ নেবেন।রণবীর জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে ‘জাগগা জাসুস’ ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। আরও বলেন, ‘ছবির শুটিং যেভাবেই হোক শেষ হলো, আমি এতে খুব খুশি। এটা আমার প্রযোজিত প্রথম ছবি। আমি চাই, সবাই আমার ছবিকে সমর্থন করুক। আশা করি, দর্শকেরা এটি পছন্দ করবেন।’সাবেক প্রেমিকা ক্যাটরিনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই ছবির জন্য ক্যাটরিনা অনেক পরিশ্রম করেছেন। এই ছবিটি যতটা আমার, ঠিক ততটাই তাঁর। আমরা খুব ভালোভাবে ছবির প্রচার চালাব, ভালোমতো মুক্তিও দেব। আমরা যখন কোনো ছবি বানাই, তখন সব মনোযোগ ও ভালোবাসা দিয়েই বানাই।’রণবীর-ক্যাটরিনার প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ‘জাগগা জাসুস’ ছবির কাজ বন্ধ ছিল। বেশ কিছুদিন পর শুটিং শুরু হলেও ক্যাট নাকি সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে কথাই বলতে চাইতেন না। তাঁদের যোগাযোগের মাধ্যম তখন হতে হয়েছিল পরিচালক অনুরাগ বসুকে। এত কিছুর পর তাঁরা দুজন একসঙ্গে কী করে ছবির প্রচার চালান, এখন তা–ই দেখার অপেক্ষা। বলিউড বাবল | 310,908 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ অক্টোবর ২০১৫, ০২:৪৫ | ০২ অক্টোবর ২০১৫, ০৩:২০ | -1 | 0 | চেয়ার কালো কাপড়ে ঢেকে কর্মবিরতি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/644320 | অষ্টম বেতন স্কেলে পদমর্যাদা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনসহ কয়েক দফা দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচটি সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্যজোট। আর প্রধান শিক্ষকদের চেয়ার কালো কাপড়ে ঢেকে পাশের চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিভুক্ত প্রধান শিক্ষকেরা।আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে। বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৩ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে চার লাখ শিক্ষক রয়েছেন।বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি আন্দোলন করছে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা, জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে। সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ছায়িদ উল্লা দাবি করেন, ঢাকাসহ সারা দেশেই এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকেরা আগামীকাল শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন। এরপরও দাবি পূরণ না হলে ৬ অক্টোবর থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।ঢাকার হাজারীবাগ, লালবাগ, গেন্ডারিয়াসহ কিছু এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা চেয়ার কালো কাপড়ে ঢেকে পাশের চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করেন। হাজারীবাগ এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার কালো কাপড়ে ঢেকে তার ওপর লেখা হয়েছে ‘গেজেটেড পদমর্যাদা বাস্তবায়নে গড়িমসির প্রতিবাদ’।চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সেখানকার অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সমিতির চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক কাইছারুল আলম জানিয়েছেন, জেলার প্রায় আড়াই হাজার প্রধান শিক্ষক গতকাল নিজেদের চেয়ারে বসেননি।সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন: সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রধান শিক্ষকদের মাত্র একধাপ নিচে রাখা, টাইম স্কেল বহালসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। এই দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচটি সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্যজোট গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশেই তাঁদের জোটের কার্যক্রম আছে। এ জন্য সারা দেশেই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আগামীকাল পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা। ১৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আর ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস ও শনিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।এদিকে চারটি সহকারী শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফেডারেশন সহকারী শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: ৪ থেকে ৮ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা কর্মবিরতি, ১০ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি। এ ছাড়া ১৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী অনশন করবেন তাঁরা। গতকাল ফেডারেশনের এক সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় নেতারা বলেন, সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরে যাবেন না। | 172,899 |
-1 | sports | খেলা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৩৬ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৫১ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | খেলা শুরু নভেম্বর না জানুয়ারিতে? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/316414 | যেভাবে একের পর এক কেলেঙ্কারি ফাঁস হতে শুরু করল, তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল ২০২২ বিশ্বকাপ কাতারে হবে তো? আপাতত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বিশ্বকাপ হবে বলেই মনে হচ্ছে। তবে কোন সময়ে হবে, সেটাই এখনো ধোঁয়াশাচ্ছন্ন।এমনিতে জুন-জুলাই মাসেই বিশ্বকাপ হয়। কিন্তু বছরের এই সময়ে কাতারে অসহনীয় গরম পড়ে। এই আবহাওয়ায় খেলা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও তাই উঠে যায়। গত বছর তাই ফিফা জানিয়েছিল, অন্য দুটি সময়ের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হবে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি বা নভেম্বর-ডিসেম্বর, এই দুটি সময় বিশ্বকাপের জন্য বিবেচনা করেছিল ফিফা। এর মধ্যে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির সম্ভাবনাই ছিল সবচেয়ে কম। বছরের এই সময়টায় বিশ্বকাপ হলে সেটি শীতকালীন অলিম্পিকের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে, এটাই ছিল যুক্তি। গত নভেম্বরে সেপ ব্ল্যাটার একরকম বাতিলই করে দিয়েছিলেন সম্ভাবনাটা। কিন্তু পরশু নির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর জানা যাচ্ছে, এই সময়টাকে এখনো বাতিল করেনি ফিফা। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বরের সম্ভাবনাই বেশি মনে হচ্ছে। এই পথে মূল বাধা ওই সময়ের ঠাসা ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সূচি। পরশু জুরিখের বৈঠকে ইউরোপিয়ান লিগ ও ক্লাবগুলোর কর্মকর্তা এবং ফিফপ্রোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা সভাপতি ছিলেন বৈঠকে। তাঁর কথা, ‘এ বিষয়ে এটাই প্রথম বৈঠক। ভবিষ্যতে আরও হবে। ফিফার নির্বাহী কমিটি এ ব্যাপারে কোনো তাড়াহুড়ো না করার ওপর জোর দিচ্ছে। এ জন্য তারা সময় দিতে আগ্রহী। আজকের বৈঠকে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আশা করি, ফুটবলের জন্য যেটি সবচেয়ে ভালো, সেটির জন্য আমরা কাজ করে যাব।’ফিফা জানিয়েছে, পরের বৈঠকটা হবে নভেম্বরে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি নাগাদ চূড়ান্ত হওয়ার কথা সময়টা। রয়টার্স, গার্ডিয়ান। | 92,244 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৬ জুন ২০১৬, ১৪:২৬ | ১৬ জুন ২০১৬, ১৪:২৮ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | ৭ উইকেট তুলে নিয়ে তাহিরের রেকর্ড | http://www.prothom-alo.com/sports/article/889933 | ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে সেরা বোলিং চামিন্ডা ভাসের। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। ইমরান তাহির কাল সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ওয়ানডে ম্যাচে ৭ কিংবা এর বেশি উইকেট তুলে নেওয়া মাত্র দশম বোলার হয়ে গেলেন তাহির। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এটিই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি করেছিলেন কাগিসো রাবাদা, বাংলাদেশের বিপক্ষে গত বছর।তাহিরের অনন্য বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা কাল ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে পেয়েছে ১৩৯ রানের বিরাট এক জয়। হাশিম আমলার সেঞ্চুরি আর ডি কক ও ফ্যাফ ডু প্লেসির সত্তরের ঘরের দুটি ইনিংসে ৩৪৩ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১ উইকেটে ৮২-র ভালো শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ২০৪ রানে। ২১তম ওভার পর্যন্তও দুর্দান্ত জবাব দিচ্ছিল তারা। ৩ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ১২১। এরপরই তাহিরের ঘূর্ণি ঝড়ে টালমাটাল ক্যারিবীয়রা। এর মধ্যে নিজের সপ্তম আর ইনিংসের ৩৪তম ওভারেই নিয়েছেন ৩ উইকেট।ভাস ছাড়া ৮ উইকেট নিতে পারেননি আর কেউ। তবে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি তাহিরের আগেও করে দেখিয়েছেন আটজন। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইনস্টন ডেভিস প্রথম ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। বাকি সাত বোলার হলেন শহীদ আফ্রিদি, গ্লেন ম্যাকগ্রা, অ্যান্ডি বিকেল, মুত্তিয়া মুরালিধরন, টিম সাউদি, ওয়াকার ইউনিস ও আকিব জাভেদ। মুরালি ও আফ্রিদির পর তৃতীয় স্পিনার হিসেবে এই তালিকায় নাম লেখালেন তাহির।তাহির কাল আরও একটি রেকর্ডের মালিক হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১০০ ওয়ানডে উইকেটের মালিক এখন তিনিই। পেছনে ফেলেছেন মরনে মরকেলকে। সূত্র: রয়টার্স। | 232,621 |
জামালপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জুন ২০১৬, ০১:০১ | ২১ জুন ২০১৬, ০১:০২ | বিশাল বাংলা,জামালপুর | 0 | জামালপুর শহরের দশ সড়ক বেহাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/894268 | পিচঢালাই উঠে গিয়ে জামালপুর শহরের ১০টি সড়কের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর এগুলোর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এগুলোর এই করুণ দশা হয়েছে। এতে এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাঁরা দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন।স্থানীয় লোকজন জানান, জামালপুর শহরের মালগুদাম, লাঙ্গলজোড়া-গেইটপাড়, ফুলবাড়িয়া-বাগেরহাটা, পালপাড়া-চালাপাড়া, মৃধাপাড়া-লম্বাগাছ, বানিয়াবাজার-ডাকপাড়া, মুকুন্দবাড়ি-ডাকপাড়া চৌরাস্তা, ফুলতলা-বাইপাস, মুকুন্দবাড়ি-বন্দেরবাড়ি ও সিংহজানি হাইস্কুল সড়কের অবস্থা খারাপ। সড়কগুলো দিয়ে প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার মানুষ চলাচল করেন।গত মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মালগুদাম সড়কের গেইটপাড় এলাকার ইজিবাইক স্ট্যান্ড মোড় অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে এবং রেলস্টেশন পদচারি সেতুর সামনে বিশাল আকারের একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে হাঁটুসমান বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ। এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ইজিবাইক ও রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন।ইজিবাইকচালক ফরহাদ মিয়া বলেন, ‘প্রায় তিন-চার মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি আমাদের ভোগান্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সড়কে থাকা গর্তে পানি জমে ইজিবাইক উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে।’দুই কিলোমিটার দীর্ঘ লাঙ্গলজোড়া সড়কের প্রায় এক কিলোমিটারের পিচঢালাই উঠে গেছে। এই অংশে সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দগুলোতে হাঁটুসমান বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে।লাঙ্গলজোড়া গ্রামের আবদুল জব্বার প্রথম আলোকে বলেন, বর্ষাকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনো এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এতে প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।বানিয়াবাজার-ডাকপাড়া সড়কে ৪০-৫০টি স্থান ভেঙে ইটের খোয়া বেরিয়ে আছে। সড়কজুড়ে কাদা আর পানি একাকার হয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এ সড়কে হাঁটুপানি জমে যায়। যানবাহন তো দূরের কথা পথচারীদের হেঁটে চলার উপায় থাকে না। বৃষ্টির পানি জমে সড়কের অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নতুন মেয়র হিসেবে পৌরসভার দায়িত্ব নিয়েছি। ওই সব সড়ক সংস্কার করার মতো বাজেট এই মুহূর্তে পৌরসভায় নেই। তবে অন্য কোনো প্রকল্প করে হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই সব সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’ | 234,379 |
রাজধানী প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ০৭:০০ | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ০৭:০০ | অপরাধ | 0 | সড়ক দখল করে গাড়ি ভাড়ার ব্যবসা! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1288631 | রাজধানীর উত্তরার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক গাউসুল আজম অ্যাভিনিউর ১৩ নম্বর সেক্টর অংশে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে চলছে রেন্ট-এ–কারের ব্যবসা। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী-পথচারীরা।সরেজমিনে দেখা যায়, গাউসুল আজম অ্যাভিনিউর ওই অংশে ফুটপাতের ওপর কাঠ-বাঁশ-টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দোকান। দোকানের সামনে ছোট টেবিল নিয়ে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। আর মূল সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হয়েছে গাড়ি। ব্যস্ত সড়কের মোড়ে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে রাখার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। পথচারীদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।পথচারী রাজীব আহমেদ বলেন, এভাবে রেন্ট-এ কারের ব্যবসা চালানোর কারণে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়। সকাল ও দুপুরে এই স্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।১২ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কের বাসিন্দা মো. আমজাদ হোসেন বলেন, রাস্তার ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হয়। একটু পরপর সৃষ্টি হয় যানজট।একাধিক রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে তাঁরা ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে আওয়ামী মোটরচালক লীগের উত্তরা থানার নেতাদের ও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে ব্যবসা চালাচ্ছেন তাঁরা। এই ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেই বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য কী পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়, সে সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি ব্যবসায়ীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, আওয়ামী মোটরচালক লীগের উত্তরা থানা শাখার সভাপতি মো. মোক্তার তাঁদের ব্যবসায় সাহায্য করেন।ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার বিষয়ে জানতে কার্যালয়ে গিয়ে মোটরচালক লীগের সভাপতি মো. মোক্তারকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।পুলিশকে ম্যানেজ করার ব্যাপারে বক্তব্য জানতে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।ঢাকা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার প্রবীর কুমার রায় বলেন, রাস্তায় এভাবে গাড়ি রাখলে হয়তো এতক্ষণে মামলা হয়ে গেছে। তিনি বলেন, রাস্তায় ব্যস্ত থাকায় ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা ফুটপাতের দিকে খেয়াল রাখার সময় পান না।আর ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি এখানে যোগ দিয়েছি কিছুদিন আগে। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’ | 332,660 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০৯ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:১৩ | -1 | null | আতঙ্ক ছড়িয়ে ঘুম ভাঙায় ভূমিকম্প | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/731455 | সূর্য উঠতে তখনো ঘণ্টা দেড়েক বাকি। সবে ঘড়িতে ৫টা ৭। কেউ কেউ উঠেছে। বেশির ভাগ মানুষ শীতের লেপ-কাঁথার নিচে। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনিতে বিছানা ছাড়তে বাধ্য হলো অনেকে। অনেকটাই আতঙ্কে। কারণটা এতক্ষণে সবারই জানা—ভূমিকম্প। কেউ কেউ দ্রুত ঘরছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। সারা দেশে শহর-গ্রাম সর্বত্রই ছিল এ রকম দৃশ্য।যদিও গতকালের ওই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দেশের বাইরে, তবু সারা দেশ কাঁপিয়ে, আতঙ্কিত ও উদ্ভ্রান্ত করে ফেলেছিল। বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৫ মিনিটে সৃষ্টি হয়েছিল সেই দুর্যোগ। উৎসস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৩৫১ কিলোমিটার দূরে, উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে, ভূ-পৃষ্ঠের ৫৫ কিলোমিটার গভীরে। মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫। ভূমিকম্পে মণিপুরে এখন পর্যন্ত আটজন মারা গেছে। আহত হয়েছে শতাধিক।এ দুর্যোগে আতঙ্কিত হয়ে ঢাকা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও লালমনিরহাটে মোট ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে শতাধিক। আর আতঙ্কিত করে দিয়ে গেছে সমগ্র দেশবাসীকে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, মণিপুরের ওই অঞ্চলটি পৃথিবীর ষষ্ঠ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এলাকাটি ৫০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে প্রলম্বিত এবং সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুর রাজ্য এবং বাংলাদেশের সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম এই মেগা থ্রাস্টের অংশ। মাত্রা ও গভীরতার বিচারে গতকালের ভূমিকম্পকে মাঝারি শক্তিশালী অগভীর (শ্যালো ফোকাস) ভূমিকম্প বলা হয়।ভূতাত্ত্বিক বিবেচনায় মাঝারি হলেও বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় স্মরণকালের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি। ঢাকার প্রবীণ ব্যক্তিরাও এত বড় ঝাঁকুনির কথা স্মরণ করতে পারেননি। ঢাকার মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বায়তুল মোশাররফ মসজিদে গতকাল ভোরে নামাজ পড়তে এসেছিলেন মিনহাজ সাহেব। বয়স সত্তরের কোঠায়। জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ঢাকায় এত বড় কম্পনের ঘটনা তাঁর জীবনে ঘটেনি। এর কারণও স্পষ্ট। বাংলাদেশে সর্বশেষ বড় ভূমিকম্প (৭ দশমিক ৪ মাত্রার) হয়েছিল ১৯১৮ সালে, যা শ্রীমঙ্গল ভূমিকম্প নামে পরিচিত।ঢাকায় ভূমিকম্পের সময় জুরাইন এলাকায় আতিকুর রহমান (২৩) নামে একজন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ছোটাছুটি করার সময় আহত ওই ছাত্রটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।বগুড়ায় ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে আহমদ আলী (৫০) নামের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী দিনমজুর মারা গেছেন। সোমবার ভোররাতে ভূমিকম্পের সময় পরিবারের সদস্যদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে আহমদ আলী নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাৎক্ষণিক মারা যান। আহমদ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা।আতঙ্কিত হয়ে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ঘোনাবাড়ী কদুরবাজার এলাকার মৃত নজর উদ্দিনের ছেলে নূর ইসলাম ওরফে কদু (৫৫) নামের মুদি দোকানদার মারা গেছেন বলে জানা যায়।ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী মারা গেছেন। ওই কর্মচারীর নাম খলিলুর রহমান (৬৫)। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ভূমিকম্প-আতঙ্কে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সোনা মিয়া (৩৮) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর ৫টা ১৫ মিনিটের সময় ওই উপজেলার দুরমুঠ ফুলতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ভূমিকম্পের আতঙ্কে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আবুল কাশেম (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটে।ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৯ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের বেশির ভাগ তাড়াহুড়া করে বাইরে বের হতে গিয়ে কিংবা লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে গিয়েছিল। চট্টগ্রামে পুলিশের দুই সদস্য ভূমিকম্পের ভয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে আহত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষার্থী একইভাবে আহত হওয়ায় ভূমিকম্পের সময় করণীয় সম্পর্কে সর্বসাধারণের অজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা করা যায়।বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায়। কাজেই এখানে ভূমিকম্প হবেই। তাই ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন হওয়া, অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ করা, ভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি উদ্ধার ও অনুসন্ধানকাজের প্রস্তুতি নেওয়া অতি জরুরি। | 189,511 |
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য | opinion | মতামত | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৪ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:৪৪ | মতামত,অর্থনীতি,দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য,লেখকের কলাম | null | মধ্যমেয়াদি সংকটের পথে বাংলাদেশ? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/109573 | বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিতিশীল ও সহিংস রাজনীতি দেশের অর্থনীতিকে ক্রমান্বয়ে দুর্বল করে দিচ্ছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ যেখানে একটি সম্ভাবনার দেশ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছিল, এখন তা ক্রমেই একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। দেশের নির্বাচনী অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা এখন যেভাবে চলছে, ২০১৪ সালেও যদি তা অব্যাহত থাকে, তাহলে দেশ একটি মধ্যমেয়াদি অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।সিপিডির পক্ষ থেকে আমরা গত অক্টোবরে বলেছিলাম, চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে। এরপর বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকও একই ধরনের প্রাক্কলন করেছে। এমনকি সম্প্রতি কেউ কেউ প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কাও করেছেন। তা যদি হয়, তবে তিন দশক ধরে গড়ে ১ শতাংশ হারে দেশে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছিল, এই দশকে (২০১০-২০) তাতে বিচ্যুতি ঘটতে পারে। অথচ, এই দশকে গড়ে ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বলে, রাজনৈতিক অস্থিরতার ধাক্কা খাওয়া দেশগুলোয় প্রবৃদ্ধির হারে একবার বড় পতন হলে তা আবার ফিরিয়ে আনতে কমপক্ষে চার থেকে ছয় বছর সময় লেগে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কি সে পথে এগোচ্ছে?প্রবৃদ্ধি মার খাওয়ার মূল কারণ হলো, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগের ধারা দুর্বল হয়ে যাওয়া। গত দুই বছরে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ কমলেও সরকারি বিনিয়োগ তা অনেকটা পুষিয়ে নিয়ে মোট বিনিয়োগের হারকে খুব একটা পড়তে দেয়নি। এবার সরকারি ও ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই পতন ঘটবে বলে মনে হচ্ছে। বিনিয়োগের পতনের ধারা শুধু দেশীয় ব্যক্তি খাত নয়, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সত্য। এতে দেশজ আয়ের অংশ হিসেবে মোট বিনিয়োগের হার নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যেটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। বিনিয়োগ কমে যাওয়ার প্রত্যক্ষ ফল বর্ধিত কর্মসংস্থান না হওয়া। কিন্তু অর্থনীতির ব্যষ্টিক পর্যায়ের অর্থাৎ উৎপাদন ও ব্যবসায় পর্যায়ের যে পরিস্থিতি, তাতে নতুন কর্মসংস্থান দূরের কথা, এই মুহূর্তে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। হরতাল-অবরোধে নিয়ত আয় হারাচ্ছেন দিনমজুরেরাও। ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়বে দারিদ্র্য পরিস্থিতির ওপর।রাষ্ট্রীয় খাতের বিনিয়োগের দুর্বল অবস্থার প্রমাণ হলো গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে, যেখানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছিল ২০ শতাংশের মতো, সেখানে এবার বাস্তবায়ন হয়েছে ১৫ শতাংশ। এর বড় কারণ, বৈদেশিক সাহায্যের অবমুক্তি হচ্ছে ধীরগতিতে। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে যেখানে ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার নিট বৈদেশিক সাহায্য এসেছিল, এবার একই সময়ে তা এসেছে মাত্র ছয় কোটি ডলার। তাই এডিপি বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে বৈদেশিক প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না।একই সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় অর্থায়নের ক্ষেত্রেও একধরনের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে হয়। এখানেও টাকা অবমুক্তির হার গত বছরের তুলনায় কম। এর বড় কারণ, সরকার জুলাই-অক্টোবরে রাজস্ব আদায় করেছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ছয় হাজার কোটি টাকা কম। বছর শেষে যা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে।তবে এসব কিছু ছাপিয়ে হয়তো রয়েছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উন্নয়ন প্রশাসনের ত্রিশঙ্কু অবস্থা। দৈনন্দিন কাজের বাইরে রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবিলা ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের পর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তাদের হয়তো সামান্যই সময় কিংবা উৎসাহ থাকবে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকলে এই উন্নয়ন প্রশাসনের গতি ফিরে পাওয়া আরও কষ্টকর হবে।মোট আমদানির হার প্রভূত পরিমাণে কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ চাহিদা পড়ে যাওয়ায় আমদানিকাঠামোতে পুঁজি পণ্যের উপস্থিতি কমে যাওয়া। একই সঙ্গে আমরা দেখি, ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহের হার এখন বাজেট ঘোষণার সময়ের চেয়েও কম, যা কিনা মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শিল্পঋণের প্রবাহের বৃদ্ধিও নেতিবাচক, যা সাম্প্রতিককালে আর দেখা যায়নি।এই মুহূর্তে দেশের ব্যাংকিং খাতে প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকার উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে। তবে ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থার চিত্র বেশি প্রকাশ পায় তফসিলকৃত মন্দঋণের হারের বৃদ্ধিতে। ২০১২ সালের জুনে যা ছিল ৭ শতাংশের কিছুটা ওপরে, এ বছরের জুনে তা হয়ে যায় প্রায় ১২ শতাংশ। আর এ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তা আরও ১ শতাংশ বেড়ে গেছে। হল-মার্কের মতো বহু মন্দ গ্রাহককে ঋণ দেওয়া যেমন এর জন্য দায়ী, তেমনি রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসায় মার খেয়ে অনেক প্রকৃত উদ্যোক্তাই ব্যাংককে টাকা ফেরত দিতে পারছেন না।প্রবাসী-আয় (রেমিট্যান্স) বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙা করার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ কম। এর অন্যতম কারণ, জুলাই-অক্টোবর মাসে জনশক্তি রপ্তানি কমে গেছে প্রায় ২১ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রায় টাকার বিনিময় হার শক্তিশালী হওয়ায় অনেক অনাবাসী হয়তো ব্যাংকের মাধ্যমে উপার্জিত টাকা পাঠাতে অনুৎসাহী হচ্ছেন। আবার কেউ হয়তো দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বিদেশে টাকা রাখাটাই শ্রেয় মনে করে থাকতে পারেন। আর নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণে টাকা পাঠানোর প্রবণতা ইতিমধ্যে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে।বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখনো উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হচ্ছে আমাদের রপ্তানি খাত। গত পাঁচ মাসে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। একদিকে তাজরীন ও রানা প্লাজা-উত্তর সময়ে বাংলাদেশে শিল্পকারখানায় কর্মপরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ, অন্যদিকে রাজনৈতিক সহিংসতায় উৎপাদন, পরিবহন ও জাহাজীকরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যেও রপ্তানির এই প্রবৃদ্ধি প্রশংসনীয়। তবে মনে রাখতে হবে, এগুলো সবই আগের কার্যাদেশের কারণে, যা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে, তার নিশ্চয়তা নেই। ইতিমধ্যে প্রচুর কার্যাদেশ বাতিল হচ্ছে। ক্রেতারা আমদানির বিকল্প উৎস খুঁজছেন ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারে। সম্প্রতি পাকিস্তান ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ বাণিজ্য-সুবিধা পেয়েছে, ভারতও পেতে চলেছে জাপানের বাজারে। এ ছাড়া পোশাকশিল্পের শ্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে যেসব শর্ত প্রতিপালন করতে হবে, তা-ও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এ বছর দেশে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। চাষাধীন জমির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিঘাপ্রতি ফসলের উৎপাদনও। কিন্তু রাজনৈতিক সহিংসতায় পরিবহনব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় ধান-চাল আটকে গেছে মিলের চাতাল কিংবা পাইকারি গুদামে। এতে কৃষক ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং গ্রামীণ শিল্পকারখানা বঞ্চিত হচ্ছে প্রাপ্য আয় থেকে। শীতকালীন সবজি ও দুধের মতো পচনশীল পণ্য খুচরা বাজারে আসতে না পারায় গ্রামীণ অর্থনীতি আরেক দফা ধাক্কা খাচ্ছে। এখন তো বোরো মৌসুমই হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। কারণ, সারা দেশে কৃষকের কাছে সার-বীজ পৌঁছানো যাচ্ছে না।তবে গ্রামে বা শহরে—সব ক্ষেত্রেই মার খাচ্ছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা। এঁরা সবাই স্বল্পপুঁজিতে চলেন, বেশির ভাগেরই ব্যাংক-সুবিধা নেই। রাজনৈতিক নৈরাজ্যের কারণে তাঁদের নিত্যদিনের উৎপাদন ও বেচাকেনা যদি চালু না থাকে, তাহলেও তাঁদের কাঁচামালের দাম, দোকান ভাড়া ও শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন দিতে হয়। আর সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় শীতকালের ভরা মৌসুমেও কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবনসহ দেশের পর্যটন স্থানগুলো এখন পর্যটকশূন্য।সংকটের পদধ্বনিবাংলাদেশ অর্থনীতি এখন একটি নিষ্ঠুর সময় অতিক্রম করছে। প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির টিকে থাকার ক্ষমতাকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, অর্থনীতি আর কত দিন এভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে পারবে? সহিংসতার রাজনীতির দাবানলে অর্থনীতির সম্ভাবনার আশা-স্বপ্নগুলো কখন সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যাবে?বর্তমানের অনিশ্চিত যাত্রা অব্যাহত থাকলে শুধু ২০১৩-১৪ অর্থবছর নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মধ্যমেয়াদি সংকটে প্রবেশ করতে পারে। মনে রাখতে হবে, অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো দিনই বড় ধরনের ব্যক্তি বিনিয়োগ হয় না, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের গুণমানও বাড়ে না। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ কি না, বিশ্বে এই প্রশ্নও এখন উঠছে। আমদানির উৎস হিসেবে বাংলাদেশ নির্ভরযোগ্য দেশ কি না, সেটাও আলোচিত হচ্ছে। যাঁরা একদিন বাংলাদেশের সম্ভাবনার অর্থনীতি নিয়ে প্রশংসাগাথা লিখতেন, তাঁরা আজ এ দেশের রাজনৈতিক ঝুঁকি ও সামাজিক অস্থিরতা নিয়ে উচ্চকিত।বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারকে নিয়ে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, ক্রমেই যেন তা ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ‘উন্নয়ন-রহস্য’ উন্মোচন করতে না পেরে যারা একদিন ঈর্ষান্বিত ছিল, সেসব প্রতিযোগী দেশ আজ সম্ভবত স্বস্তি বোধ করছে।বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বল্পকালীন সংকট মধ্যমেয়াদি সংকটে রূপান্তর হবে কি না, তা নির্ভর করছে আমাদের সাংঘর্ষিক রাজনীতি আরও কত ব্যাপক হবে এবং তা কতটা দীর্ঘায়িত হবে। এতে আমাদের মধ্যম আয়ের দেশের রূপান্তরিত হওয়ায় স্বপ্নপথটি আরও দীর্ঘায়িত হয়ে যাচ্ছে নিঃসন্দেহে। মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে আমাদের প্রয়োজন ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। অথচ প্রতিনিয়ত আমরা বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকেই ধ্বংস করে চলেছি। এ অবস্থায় আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগীরা (ঋণদানকারী সংস্থা, পণ্য ও জনশক্তি আমদানিকারী দেশ, বৈদেশিক বিনিয়োগকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) একবার মুখ ঘুরিয়ে নিলে তাদের আবারও ফিরিয়ে আনতে অনেক সময় লেগে যাবে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে বিদেশে ভাবমূর্তির এই নতুন সংকটের দায় বহন করে বেড়াতে হবে।৫ জানুয়ারির নির্বাচন এই আশঙ্কাজনক প্রবণতাগুলোকে আটকাতে পারবে বলে মনে করি না। যত দিন পর্যন্ত আমরা একটি আস্থাভাজন নির্বাচনব্যবস্থার অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান না করতে পারছি, তত দিন দেশে শান্তি ও স্বস্তি ফিরবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে রক্ষার স্বার্থে ২০১৪ সালে দ্রুতই আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে।দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য : অর্থনীতিবিদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।debapriya.bh@gmail.com | 39,322 |
রাঙামাটি অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫২ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫৩ | রাঙামাটি,বিশাল বাংলা | 0 | ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের কার্যক্রম শুরু ২০১৭ সালে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/841852 | ২০১৭ সাল থেকে প্রাক্-প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের কার্যক্রম শুরু হবে।গতকাল মঙ্গলবার মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের লক্ষ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ সহায়িকা বিষয়ক কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।সকালে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা মিলনায়তনে অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা এবং সমতলের গারো ও সাদরি জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় পাঠ্যপুস্তক অনুবাদের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শামীম ইমামের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের বিষয়টি পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষক প্রশিক্ষণ সহায়িকা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান বৃষ কেতু চাকমা।বিশেষ অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য স্নেহ কুমার চাকমা বলেন, সরকার পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ি শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু চুক্তির ১৮ বছরেও তা বাস্তবায়ন করছে না।জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য মো. আবদুল মান্নান বলেন, প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষার স্তরটি খুবই স্পর্শকাতর। সেখানে শিশুদের অধিকার, পরিবেশ-সংস্কৃতির বিষয়গুলো দেখতে হয়। তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, সরকারিভাবেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ সহায়িকা তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়িকা তৈরির উদ্যোগ খুবই ভালো। তবে যখন তা বাস্তবায়ন পর্যায়ে যাবে, তখন আরও অনেক বিষয় উঠে আসবে। সে ক্ষেত্রে সরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনেক সহায়ক হবে।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহনাজ পারভীন বলেন, পাঁচটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাক্-প্রাথমিক পর্যায় থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক অনুবাদ শেষ পর্যায়ে। ২০১৭ সালে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষক প্রশিক্ষণ সহায়িকার সারাংশ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌরভ সিকদার। তিনি বলেন, দারিদ্র্য, ভাষার প্রতিবন্ধকতা ও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যার কারণে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের ঝরে পড়ার হার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা গেলে ঝরে পড়ার হার অর্ধেকে নেমে আসবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. রেজাউল করিম। স্বাগত বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি সমন্বয়কারী ওয়াসিউর রহমান। | 224,115 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জুলাই ২০১৪, ২০:১১ | ১৫ জুলাই ২০১৪, ২০:২২ | দুর্ঘটনা,অপরাধ | null | অবশেষে দুদকের অভিযোগপত্রে রানা আসামি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/268381 | নকশাবহির্ভূতভাবে সাভারের রানা প্লাজা ভবন নির্মাণের অভিযোগে ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির’ জন্য দায়ী সোহেল রানাকে অবশেষে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বিষয়টি আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন অনুসন্ধান তদারকির দায়িত্বে থাকা উইং কমান্ডার ও দুদকের পরিচালক তাহিদুল ইসলাম। মামলায় অভিযুক্ত অন্য ১৭ জনকেও অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চুলচেরা বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাচাই করেই সোহেল রানাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার আগে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ মেলেনি। কারণ, রানা প্লাজার নির্মাণসংক্রান্ত কাগজপত্রে রানা প্লাজা ভবনের জায়গা ও ভবনের যৌথ মালিক হচ্ছেন সোহেল রানার বাবা ও মা। তাই ওই সময় সোহেল রানাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিত তদন্তে দেখা গেছে, প্রভাব খাটিয়ে রানাই ওই ভবন নির্মাণ করেছেন এবং তিনিই বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে সুবিধাভোগী ছিলেন। তাই তাঁকে অভিযোগপত্রে ‘তদন্ত আগত’ আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।অন্য যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে আছেন সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার মো. আলী, স্থপতি এ কে এম মাসুদ রেজা, পৌরসভা মেয়র রেফায়েত উল্লাহ, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, রাকিবুল হাসান রাসেল, ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক আবদুল মোত্তালিব, সাবেক সচিব মর্জিনা খান প্রমুখ।নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণসংক্রান্ত এ ঘটনায় অনুসন্ধান করেছেন দুদকের উপপরিচালক এম এম মফিদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম। গত ১২ জুন রানাকে বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।গত বছরের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভারে ‘রানা প্লাজা’ নামের নয়তলা ভবনটি ধসে পড়ে। নয় তলা ওই ভবনের তৃতীয় থেকে নবম তলা পর্যন্ত পাঁচটি পোশাক কারখানা ছিল। ভবন ধসে ১১ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে, যাঁদের বেশির ভাগই নারী পোশাককর্মী। | 77,755 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:১৮ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:১২ | -1 | null | মিয়ানমার দূতাবাসে বৌদ্ধ সমাজের স্মারকলিপি প্রদান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1318021 | রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশের সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ। এর আগে গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরের পাশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির নেতারা।আজ রোববার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশের সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের সাতজন প্রতিনিধি বারিধারায় মিয়ানমার দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় দূতাবাসে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, প্রতিনিধিদলের নেতারা ফটকে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে কে স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন, তা জানা যায়নি।গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহসভাপতি পি আর বড়ুয়া বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে। বাংলাদেশ মুসলমানপ্রধান দেশ হয়েও সব সম্প্রদায় কত শান্তিতে বসবাস করছে; সেখানে মিয়ানমার বৌদ্ধপ্রধান দেশ হলেও যেভাবে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, তাতে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষেরা মুখ দেখাতে পারছে না। তিনি বলেন, আজ মিয়ানমার দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়া হলো। এরপর জাতিসংঘের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের কাছেও স্মারকলিপি পৌঁছানো হবে।বাংলাদেশের সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের মুখ্য সমন্বয়ক অশোক বড়ুয়া বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে। এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। দেশ-বিদেশের সবার উচিত বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা। আর মিয়ানমার সরকারের উচিত, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যাওয়া। এ ছাড়া মিয়ানমারের উচিত গৌতম বুদ্ধের অহিংস নীতির বাস্তবায়ন করে চলমান সংকট নিরসন করা।বাংলাদেশের সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মমিত্র মহাথেরো, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক অসীম রঞ্জন বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাক্য বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি-ঢাকা অঞ্চলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মিলন মুৎসুদ্দি প্রমুখ।সাংবাদিক-শিক্ষার্থীর প্রতিবাদমিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে গুলশান-২ নম্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশের পর সাংবাদিক-শিক্ষার্থীরা মিয়ানমার দূতাবাসে প্রতিবাদলিপি প্রদান করেছেন। এ সময় সাংবাদিক-শিক্ষার্থীদের পাঁচজন প্রতিনিধি দূতাবাসের ফটকে গিয়ে প্রতিবাদলিপি প্রদান করেন।সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ বলেন, দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে তাঁরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদ করছেন। তাঁরা প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, মিয়ানমারে সংগঠিত নৃশংসতা এবং মানবিক বিপর্যয়ের কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এটি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাঁরা মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের হত্যা বন্ধ করতে এবং বর্তমান পরিস্থিতির আশু সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। | 337,412 |
-1 | sports | খেলা | ১৯ জুন ২০১৫, ০২:৩১ | ১৯ জুন ২০১৫, ০২:৩২ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | আগুয়েরোকে নিয়ে শঙ্কা নেই! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/557287 | কোপা আমেরিকায় উরুগুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হেড করে দলকে জিতিয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো। গত মঙ্গলবার বাতাসে ঝাঁপিয়ে হেড করে গোল করার পর শরীরের ভারসাম্য আর ধরে রাখতে পারেননি, পড়ে গিয়ে কাঁধে চোট পান। গোলের পর ব্যথায় কাঁধ হাত দিয়ে ধরে রাখেন, পরে খেললেও ব্যথাটা বোঝা যাচ্ছিল। তবে বড় চোটের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পরের দিনই অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন স্বচ্ছন্দে। অর্থাৎ আগামীকাল জ্যামাইকার বিপক্ষে খেলছেন ম্যান সিটি স্ট্রাইকার। রয়টার্স। | 146,260 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:২২ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:২৩ | চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা | 0 | জমি উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/140713 | দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে থাকা চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার সকালে মধ্যম হালিশহর এলাকার পোর্ট এক্সেস সড়কের সামনে থেকে এ জমি দখলমুক্ত করা হয়।চট্টগ্রাম বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপম সাহার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। | 49,273 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫৯ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:০০ | অপরাধ | 0 | জেএমবির ‘আইটি প্রধান’সহ চারজন গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1072575 | জেএমবির ‘সারওয়ার-তামিম’ গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধানসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যা ব। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় পরিচালিত এক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আইটি বিভাগের ওই প্রধানের নাম আশফাক-ই-আজম (আপেল)।চার জঙ্গি ছাড়াও গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরিচালিত অভিযানে র্যা ব অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধারের দাবি করেছে। উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে আছে ২টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২১টি গুলি, ৭টি ছুরি, প্রায় ৩ কেজি পরিমাণ বিস্ফোরক গুঁড়া, ৫টি পাওয়ার জেল, ৭টি মুঠোফোন, ৩টি ইলেকট্রিক ডেটোনেটর, ২টি সার্কিট ব্রেকার, ৬ প্যাকেট বিয়ারিং বল, বৈদ্যুতিক তার ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম।এদিকে আশফাক-ই-আজমের পারিবারিক সূত্র ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আশফাক-ই-আজমকে আরও আগেই আটক করা হয় তাঁর রংপুরের বৈরাগীপাড়ার বাসা থেকে। এর আগে আশফাকের ছোট ভাই আজহার-উল-হান্নান ওরফে অরেঞ্জকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। আজহার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে পাস করে চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণে ছিলেন। তিনি একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আজহার তাঁর ভাইয়ের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ও আটক হওয়ার কথা জানান। তবে আশফাক শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে হামলার পর জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতা থেকে সরে এসেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন আজহার।পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আশফাককে তুলে নেওয়ার পর তাঁরা রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছিলেন। তবে কোতোয়ালি থানা এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।তবে র্যা ব বলছে, আশফাক জেএমবির বিভিন্ন সাইট ডিজাইন করা এবং জঙ্গি সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘সারওয়ার-তামিম গ্রুপের আত্মপ্রকাশের পর সারওয়ার আশফাককে মোস্তাফিজুর রহমান সিফাতের সঙ্গে আইটি বিভাগে কাজ করার আহ্বান জানান। র্যা ব মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করলে আইটি বিভাগের দায়িত্ব নেন আশফাক। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি জেএমবির ওপরের সারির নেতাদের থ্রিমা, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগের প্রশিক্ষণ দিতেন। ওপরের সারির ওই নেতাদের অনেকেই ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারে দক্ষ ছিলেন না।’র্যা বের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশফাক-ই-আজমের বাড়ি রংপুরের কামালকাছনার বৈরাগীতলায়। তিনি ধানমন্ডির ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক থেকে ২০১২ সালে বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। তিনি গুলশান, উত্তরা ও মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করতেন। র্যা বের সঙ্গে একপর্যায়ে ‘মানিক’ নামে একজনের সখ্য হয়। তবে এই মানিক যে সারওয়ার, তা আশফাক জানতেন না। আশুলিয়ায় র্যা বের অভিযানে সারওয়ার নিহত হওয়ার পর তিনি তা জানতে পারেন।চারজনই অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেনর্যা বের দাবি, আশফাক অস্ত্র চালাতে জানেন। আশফাক ছাড়াও গ্রেপ্তার তিনজন হলেন বগুড়ার মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে রমি, ঝিনাইদহের মো. শাহিনুজ্জামান ওরফে শাওন ও জামালপুরের মো. আশরাফ আলী। তাঁরা সবাই চট্টগ্রামে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ পান। তাঁদের মধ্যে শাহিনুজ্জামান (৩০) ২০১৫ সালের শেষ দিকে চট্টগ্রামে অস্ত্র প্রশিক্ষণের সময় অসতর্কতায় গুলিবিদ্ধ হন। | 289,446 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:২০ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:২১ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | রূপগঞ্জে রেস্তোরাঁয় প্রতিপক্ষের হামলা, লুটপাট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1091332 | নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় হামলাকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের আতলাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।ব্যবসায়ী সামসুল আলম বলেন, তিনি স্থানীয় আতলাপুর বাজারে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করেন। গত শুক্রবার সকালে তাঁর ছোট বোন হাশেরা বেগমের সঙ্গে একই এলাকার আশোকতারা নামের এক নারীর কথা-কাটাকাটি হয়। তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের বাড়িতে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিস বসার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে আটটার দিকে আশোকতারার ভাই নুর মোহাম্মদসহ ছয়-সাতজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আতলাপুর বাজারে তাঁর রেস্তোরাঁয় হামলা চালায়।আজিজুল হক বলেন, ‘কী কারণে নুর মোহাম্মদ ও তাঁর লোকজন শামসুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করল, তা বুঝতে পারছি না।’রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাঈল হোসেন বলেন, এ ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 297,659 |
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি | international | আন্তর্জাতিক | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:১১ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:১১ | ভারত | 0 | অমিত শাহ ফের বিজেপি সভাপতি | http://www.prothom-alo.com/international/article/749341 | দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হলেন অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ ও তাঁরই রাজ্য গুজরাটের এই রাজনীতিক পরবর্তী তিন বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থাৎ ২০১৯ সালে লোকসভার পরবর্তী নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বও থাকছে অমিত শাহর ওপর।সর্বসম্মতভাবে অমিত শাহ গতকাল রোববার দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হলেও প্রবীণ নেতাদের অনেকেই দলীয় সদর দপ্তরের এই অনুষ্ঠানে যাননি। অনুপস্থিতির এই তালিকায় ছিলেন লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলি মনোহর যোশি, যশোবন্ত সিনহার মতো নেতারা, যাঁরা দলে বারবার মোদি-শাহ জুটির বিরোধিতা করে এসেছেন। আদভানি ও যোশি দলের মার্গদর্শকমণ্ডলের সদস্য। তবে এই অনুপস্থিতি শাহর নির্বাচনী উৎসাহে বড় হয়ে ওঠেনি। দলের অধিকাংশ নেতা, বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এবং রাজ্য নেতারা সকাল থেকেই ভিড় করেন অশোকা রোডের দলীয় অফিসে। শাহর পক্ষে মোট ১৭ দফা মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। প্রথমটি জমা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে। তারপর একে একে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন রাজনাথ সিং, ভেঙ্কাইয়া নাইডু, অনন্ত কুমার, জয়প্রকাশ নাড্ডার মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হন ৫১ বছর বয়সী অমিত শাহ।গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের ভোটের দায়িত্বে ছিলেন অমিত শাহ। সেই রাজ্যের দুর্দান্ত সাফল্য (৮০-র মধ্যে ৭২ আসনে জয়ী) বিজেপিকে ৩০ বছর পর একক ক্ষমতায় সরকার গঠনের সুযোগ করে দেয়। ভোটের পর তৎকালীন সভাপতি রাজনাথ সিং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় দলীয় সভাপতির পদ তিনি ছেড়ে দেন।লোকসভার নির্বাচনের পর অমিত শাহর সভাপতিত্বে বিজেপি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খন্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে সাফল্য পান। চার রাজ্যেই বিজেপি সরকার গড়ে। কিন্তু দিল্লি ও বিহারে বিজেপির ভরাডুবির ফলে ফের অমিত শাহ দায়িত্ব পাবেন কি না, সেই প্রশ্ন ওঠে।অমিত শাহর জয়ের ঘোষণা করেন সংসদীয় মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি বলেন, অমিত শাহর নেতৃত্বে দল এগিয়ে যাবে। একই আশা রাজনাথ সিংয়ের। তবে কংগ্রেসের নেতা কপিল সিবাল কটাক্ষ করে বলেছেন, আদভানি, যোশিদের অনুপস্থিতিই বুঝিয়ে দিচ্ছে, বিজেপির হাল কী রকম। দিল্লি ও বিহারে দলের যা হাল হয়েছে, আগামী দিনের নির্বাচনগুলোতেও বিজেপির সেই হাল হবে। | 195,529 |
-1 | sports | খেলা | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৮ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৯ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | নালিশ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/700423 | মাঠে একজন খেলোয়াড় কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়, আরেকজন লাথি মেরে দেখেছেন লাল কার্ড। সহানুভূতিটা কার দিকে থাকা উচিত? অভিনয় না করে থাকলে অবশ্যই আহত খেলোয়াড়টির পক্ষে। কিন্তু স্প্যানিশ রেডিও লা ক্যাডেনা কোপের দুই ধারাভাষ্যকার বিস্ময়করভাবে ইসকোর পক্ষে কথা বললেন। এল ক্লাসিকোতে নেইমারের গায়ে পা চালিয়ে দুই ম্যাচের জন্য যে রিয়াল মিডফিল্ডার নিষিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু ওই দুই ধারাভাষ্যকার বললেন, নেইমারের ওই আঘাতটা প্রাপ্য ছিল। মানোলো সানচিস ও পলি রিঙ্কন নামের এই দুজন আবার রিয়াল মাদ্রিদেরও খেলোয়াড় ছিলেন। পরে তাঁদের কথাটা ফিরিয়ে নেওয়ারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দুজনই অটল থেকেছেন নিজেদের বক্তব্যে। বার্সেলোনাও ব্যাপারটা হালকাভাবে নেয়নি, এর মধ্যেই লা লিগা কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগও করেছে। নিজেদের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েই ব্যাপারটা জানিয়েছে বার্সা। ইএসপিএন। | 179,677 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৬:৫৬ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৬:৫৭ | খেলা,দেশের ফুটবল | 0 | সেই কলসিন্দুর স্কুল এবার নেই | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1087768 | গত তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদায় নিয়েছে বিভাগীয় পর্বেই। তাই এবার ষষ্ঠ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট একটু হলেও আকর্ষণ হারিয়েছে। তবে সাতটি বিভাগীয় সেরা দল নিয়ে কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ছেলে ও মেয়ে দুই বিভাগেই জমাট লড়াই আশা করছে আয়োজক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফাইনাল ২ মার্চ।ছেলেদের বিভাগে ৬৪ হাজার ২৬০টি ও মেয়েদের বিভাগে খেলেছে ৬৪ হাজার ১৯৬ স্কুল। ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫২ খুদে খেলোয়াড়ের এমন মহাযজ্ঞ পৃথিবীর আর কোথাও হয় বলে জানা নেই। তাই এই টুর্নামেন্টের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তোলার উদ্যোগ নিয়ে কথা হলো কাল বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে। বাফুফের সহসভাপতি বাদল রায় বললেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ফুটবল ফেডারেশন কাজ করছে।’ প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান তা এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখছি।’ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মুখে থাকল টুর্নামেন্টের প্রশংসা, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। ছোট ছেলেমেয়েদের সামনে মন্ত্রণালয় একটা ভিত্তি গড়ে দিচ্ছে, বাফুফে সেখান থেকে ছেলেমেয়েদের এগিয়ে নিচ্ছে।’কিন্তু জাতীয় স্তরে সাড়া ফেলা কলসিন্দুর স্কুল এবার চূড়ান্ত পর্বেই উঠতে পারল না কেন? ওই স্কুলের কোচ মফিজ উদ্দিন কাল প্রথম আলোকে কারণটা বললেন হতাশা নিয়ে, ‘এবার আমাদের বিদায়ের অনেক কারণ আছে। খেলাধুলা থেকে আমরা আসলে নির্বাসনে চলে গেছি। এখন আর মেয়েদের কোচিং করাচ্ছি না আমি।’ | 296,206 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৫৩ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:০৫ | মেরিল-প্রথম আলো,চলচ্চিত্র | 0 | সমালোচকদের রায়ে সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1153056 | মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার ২০১৬-তে সেরা চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরস্কার পেলেন অমিতাভ রেজা। ‘আয়নাবাজি’ ছবির জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।পুরস্কার বিজয়ী অমিতাভ রেজার হাতে পুরস্কার তুলে দেন নির্মাতা আমজাদ হোসেন ও নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান।সমালোচকদের রায়ে পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁর চলচ্চিত্রের জন্য যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান অমিতাভ রেজা।আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আসর বসেছে।এবার এই বিভাগে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য অমিতাভ রেজা চৌধুরী ছাড়াও ‘দর্পণ বিসর্জন’ ছবির জন্য সুমন ধর ও ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবির জন্য তৌকির আহমেদ মনোনীত হয়েছিলেন। | 312,620 |
প্রতিনিধি, গাজীপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ মে ২০১৮, ২২:৫০ | ১৩ মে ২০১৮, ১৫:২৩ | বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট,তথ্যপ্রযুক্তি | null | গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1487836 | বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। টেলিকমান্ড পাঠাতে সময় লাগবে আগামী ৮ থেকে ১২ দিন।গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আমেরিকার ফ্লোরিডা স্পেস স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনে ওই স্যাটেলাইট থেকে আসা টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই স্টেশন থেকে ওই স্যাটেলাইটে টেলিকমান্ড পাঠানো যাচ্ছে না। এটি পাঠাতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ দিন। এই কয়েক দিনের মধ্যে মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপরে ওঠার পর টেলিমেট্রি ও টেলিকমান্ড সমান্তরালে চালানো যাবে। এই কয়েক দিন স্যাটেলাইটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছেই এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পরে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ার প্রকৌশলীদের কাছে এর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনের ব্যবস্থাপক (স্যাটেলাইট প্রকৌশলী) মো. নাসিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা একটি টেলিমেট্রি সংকেত পাচ্ছি। কিন্তু সেটি সরাসরি নয়, ফ্রান্সের কান থেকে বিপিএনার মাধ্যমে। স্যাটেলাইটটি আগামী ১২ দিন ফ্রান্সের কান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ১২ দিন পর গাজীপুর ও বেতবুনিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় পাঁচ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–১–এর গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি হয়েছে।নানা কারণে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।এর আগে বাংলাদেশ সময় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মিনিটে এসেই থমকে যায় সেকেন্ডের কাঁটা। রকেটের যাত্রা (স্টার্টআপ মোড) শুরু হওয়ার সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আর উড়ছে না বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ঘোষণা করা হয়, শুক্রবার ফের চালু হবে কাউন্টডাউন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ২টা ১৪ মিনিট থেকে শনিবার ভোররাত ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় তখন।স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। তাদের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ যাত্রা শুরু করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশের গাজীপুর থেকে। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি করা হয়েছে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন।দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক টেলিভিশন সেবা ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো যাবে।মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এই কক্ষপথ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত সব দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও কাজাখস্তানের কিছু অংশ এই স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে। আরও পড়ুনবঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে কী সুফল? স্বপ্ন হলো সত্যি, মহাকাশে বাংলাদেশ মহাকাশে যাত্রা যেভাবে ছবিতে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট | 363,607 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ আগস্ট ২০১৬, ১৮:৪৫ | ২৩ আগস্ট ২০১৬, ১৯:২৯ | ফেনী,আইন ও বিচার,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | আরও তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/955357 | ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল হক হত্যা মামলায় আরও তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।এ নিয়ে একরাম হত্যা মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষ্য দিলেন।আজ মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ান মো. সফিউল্লাহর আদালতে মামলার তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তাঁরা হলেন ঘটনার দিন ফেনী সদর হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের সেবাদানকারী তৎকালীন চিকিৎসক রায়হান উদ্দিন চৌধুরী এবং একরাম হত্যাকাণ্ডের পর অস্ত্র উদ্ধার ও জব্দ তালিকার দুই সাক্ষী মো. বেলাল হোসেন ও আবদুল করিম।আদালত সূত্র জানায়, গত ১৫ মার্চ ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার মোট ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতিমধ্যে বাদীসহ মোট ১৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।ফেনী জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানান, একরাম হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৬ জন আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন জামিনে রয়েছেন।আজ ফেনী কারাগারে থাকা ৩৩ জন ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ছয়জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা পাঁচজন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আজ আদালতে সাতজন আসামির জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।আদালত সূত্র জানায়, আদালতে সাক্ষীদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুল হাসান, মেজবাহ উদ্দিন খান, আহসান কবীর বেঙ্গল, সাহাব উদ্দিন, সাইফুল্লাহ রাসেল।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, চেয়ারম্যান একরাম হত্যার ঘটনায় গত বছর ২৮ আগস্ট মোট ৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার ৪৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ১৫ জন আসামি কোনো না কোনোভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার ১২ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্যে চেয়ারম্যান একরামুল হককে রাস্তায় গাড়ির গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। | 252,412 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ মার্চ ২০১৭, ০১:১৩ | ১৮ মার্চ ২০১৭, ০১:১৪ | কুমিল্লা,মহানগর,রাজনীতি | 0 | আ.লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ব্যাপক গণসংযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1111516 | ছুটির দিন গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই নির্বাচনী গণসংযোগে নামেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়র পদপ্রার্থী। এর মধ্যে বিএনপির মো. মনিরুল হক সাক্কু নগরের নানুয়ার দিঘির পাড় নিজ বাসভবন থেকে বের হয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসভবন থেকে গণসংযোগে বের হন।উভয় দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও গণসংযোগে রয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নগরের কান্দিরপাড়ের কুমিল্লা ক্লাবে ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ রেইসকোর্স এলাকার রেডরোফ ইন হোটেলে থেকে গণসংযোগ বের হন। কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে নগর কুমিল্লায় নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।আঞ্জুম সুলতানা নগরের রামঘাট এলাকায় সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং এস্টেট, হযরতপাড়া, কাটাবিল, নূরপুর ও বিকেলে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোগলটুলি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ ছাড়া সাহাপাড়া এলাকায় উঠান বৈঠক করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে মোগলটুলি এলাকায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কবিরুল ইসলাম শিকদার।মো. মনিরুল হক সাক্কু সকাল ১০টা থেকে নগরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌয়ারা বাজার, দয়াপুর, রইপুরা ও তারাপাইয়া, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানকোট, রায়পুর, ধনাইতরি ও নোয়াগাঁও এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ জেলা ও মহানগর কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নগরের বাদুরতলা, কান্দিরপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শওকত মাহমুদ ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী।৩০ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। | 303,939 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৪৪ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৪৬ | হলিউড | 0 | চিত্রনাট্যে সেরা ‘ম্যানচেস্টার বাই দ্য সি’ ও ‘মুনলাইট’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1091815 | ৮৯তম অস্কার অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষণা করা হয় দুই চিত্রনাট্য বিভাগে বিজয়ী ছবির নাম।সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য ও সেরা চিত্রনাট্য (অ্যাডাপ্টেড) বিভাগে এবার অস্কার জিতল যথাক্রমে ‘ম্যানচেস্টার বাই দ্য সি’ ও ‘মুনলাইট’ ছবি দুটি।এবারের অস্কার আসরে সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘হেল অর হাই ওয়াটার’, ‘লা লা ল্যান্ড’, ‘দ্য লবস্টার’, ‘ম্যানচেস্টার বাই দ্য সি’ ও ‘টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি উইমেন’।অন্যদিকে, সেরা চিত্রনাট্য (অ্যাডাপ্টেড) বিভাগে অস্কার-প্রত্যাশী ছবিগুলো ছিল ‘অ্যারাইভাল’, ‘ফেন্সেস’, ‘হিডেন ফিগার্স’, ‘লায়ন’ ও ‘মুনলাইট’। | 297,518 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৪ মে ২০১৮, ১২:৪৭ | ১৪ মে ২০১৮, ১২:৫৪ | আরব বিশ্ব | null | জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্বোধনে ইভাঙ্কা-কুশনার | http://www.prothom-alo.com/international/article/1488641 | ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করার আগেই সেখানে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ও জামাই ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জ্যারেড কুশনার। আজ সোমবার সেখানে পৌঁছান তাঁরা। বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে ইভাঙ্কা ও কুশনার দুজন দূতাবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। ট্রাম্প সেখানে যাচ্ছেন না।জেরুজালেমে ওই দূতাবাস খোলা হচ্ছে। তেল আবিব থেকে দূতাবাস সরিয়ে আনার বিষয়টি ফিলিস্তিনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।ইসরায়েলের ৭০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে দূতাবাস সরানোর পরিকল্পনা সামনে আনে যুক্তরাষ্ট্র।ইসরায়েল জেরুজালেমকে তাদের চিরন্তন ও অবিভক্ত রাজধানী মনে করে। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। ১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল।জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি কয়েক দশক ধরে চলে আসা যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ অবস্থানের লঙ্ঘন।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের ৭০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে দূতাবাস সরানো হচ্ছে। অন্য দেশগুলোকেও জেরুজালেমে রাজধানী সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটাই সঠিক হবে। কারণ, এতে শান্তিপ্রক্রিয়া সামনে এগিয়ে নেওয়া যাবে।’ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসি ট্রাম্পের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণাকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করেছেন।আপাতত আজ সোমবার জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট ভবনের ভেতর ছোট পরিসরের অন্তর্বর্তী দূতাবাস চালু হবে। তেল আবিব থেকে পুরো দূতাবাস সরানোর পর সেখানে বড় আকারে কার্যক্রম শুরু হবে।দূতাবাস উদ্বোধনের ওই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইভাঙ্কা ও কুশনারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুনুচিন ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভান সেখানে উপস্থিত থাকবেন।ইভাঙ্কা ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, ‘জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোটের অপার সম্ভাবনা ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি।’যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ রাষ্ট্রদূত ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। তবে হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, চেক রিপাবলিকের মতো কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা সেখানে যাবেন।গুয়াতেমালা ও প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সেখানে হাজির হতে পারেন। ট্রাম্পের ঘোষণার পর তারাও জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। | 363,899 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৪:০৪ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৪:০৬ | আইন ও বিচার | null | ছাত্রদের চোখে জল, স্বজনেরা উদ্বেগাকুল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1551031 | প্রিজন ভ্যানের ফাঁক গলে বাবা-বোন ও বন্ধুদের দেখতে পেয়েই কেঁদে ফেলেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের ছাত্র জাহিদুল হক। স্বজনেরা বাইরে থেকে আশ্বাস দেন—চিন্তা করিস না। জামিন করে নিয়ে আসব। জাহিদুল স্বজনদের কিছু বলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কান্নার তোড় আর চারপাশের উচ্চ শব্দের মাঝে তাঁর কণ্ঠটি হারিয়ে গেল। গতকাল বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার আদালত চত্বরে এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের জেরে গ্রেপ্তার হওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছাত্রদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। পুলিশি হেফাজতে ছাত্রদের নির্যাতন করা হয়েছে বলেও আদালতকে জানান। তবে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আবেদন নাকচ করে ছাত্রদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।গুজব ছড়ানো ও ভিত্তিহীন খবর প্রচারের অভিযোগে গত বুধবার ঢাকায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ চৌধুরী (৪০) অনলাইন সংবাদমাধ্যম জুম বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং দাইয়ান আলম (২২) বুয়েটের ছাত্র। তাঁদের দুজনকেই এর আগে রমনা থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান গতকাল বলেন, ২৯ জুলাইয়ের ওই দুর্ঘটনার পরে গতকাল পর্যন্ত ১৬টি থানায় ৩৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪২ জনকে। এর মধ্যে ছয়টি মামলা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে। এই ছয় মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম এবং অভিনয়শিল্পী কাজী নওশাবা আহমেদও রয়েছেন।ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা পৃথক মামলায় আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ‘অশোভন’ মন্তব্য করায় গ্রেপ্তার হন বগুড়ার শিবগঞ্জের এক কলেজছাত্র।২২ ছাত্র কারাগারে রাজধানীর ভাটারা ও বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ২২ জন ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁদের রাখা হয়েছিল আদালতের হাজতখানায়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে বিকেলে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় বন্দী ছাত্র ও বাইরে থাকা অভিভাবকদের কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।১৪ ছাত্রের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন জানায় বাড্ডা থানার পুলিশ। এতে তদন্তের প্রয়োজনে আবার এঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হতে পারে উল্লেখ করা হয়।বাকি আট ছাত্রের বিষয়ে ভাটারা থানার পুলিশ আদালতকে জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরা পুলিশের ওপর হামলা করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।নির্যাতনের অভিযোগছাত্রদের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর কিংবা পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত নন। যারা এদের ওপর হামলা করেছিল, তাদের গ্রেপ্তার না করে নিরীহ এসব ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে মারধর করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার ছাত্র ফয়েজ আহম্মেদ আদনানের আইনজীবী এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক আদালতে বলেন, তিনি নিজে দেখেছেন, পুলিশ কীভাবে ছাত্রদের নির্যাতন করেছে। গ্রেপ্তার সবাই ছাত্র অথচ পুলিশ মামলায় তা উল্লেখ করেনি। মামলার এজাহারের বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করেন তিনি।কয়েকজন শিক্ষার্থীর আইনজীবী আদালতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া কাগজ জমা দিয়ে বলেছেন, তাঁরা কোনো আন্দোলনে ছিলেন না। কোনো ভাঙচুর করেননি। তাঁরা সেদিন ক্লাস করেছেন।গ্রেপ্তার ছাত্র আমিনুল, হাসানুজ্জামানসহ কয়েকজনের আইনজীবী আদালতকে জানান, আগামী সপ্তাহে তাঁদের পরীক্ষা আছে। জামিন না পেলে তাঁদের শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হবে।গ্রেপ্তার মাসাদ মরতুজা বিন আহাদের আইনজীবী কামরুদ্দিন আদালতকে বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রকে পুলিশ মারধর করেছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার হাত ও ঘাড়ে জখম হয়েছে। আদালত এই ছাত্রকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।আদালত চত্বরে ছাত্র জাহিদুলের বাবা জাকিউল হক বললেন, তাঁর ছেলে এর আগে কখনো পুলিশের মুখোমুখি হননি। এখন কারাগারে থাকতে হচ্ছে।আদালত চত্বরে বসে কাঁদছিলেন এক মধ্যবয়সী নারী। নাম বললেন না। তাঁর চারপাশে ভিড় করা তরুণেরা জানালেন, তিনি তাঁদের বন্ধু নূর মোহাম্মদের মা। এই মা বললেন, ‘অনেক কষ্ট করে ছেলেকে বড় করছি। এখন মামলা লড়ব কী দিয়ে। আইনজীবীর টাকা দেওয়ার মতো অবস্থা নেই।’ ছেলের বন্ধুরা তাঁকে সাহস দিচ্ছিলেন, ‘আন্টি, চিন্তা করবেন না। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব।’ | 373,263 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫৭ | ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫৭ | বিশাল বাংলা | 0 | গাছতলায় চলছে পাঠদান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/692695 | পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের পাকা ইউনিয়নের চরপাকা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে গাছতলায় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক কক্ষে। এতে তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক বলেন, গত ২২ অক্টোবর পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে রাতারাতি বিলীন হয়ে যায় বিদ্যালয়ের ভবন। এরপর থেকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে গাছতলায় ও কেন্দ্রের আবাসিক কক্ষে ক্লাস করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক কক্ষগুলোয় কেউ না থাকায় এবং কেন্দ্রের কার্যক্রম নিয়মিত না হওয়ায় পাঠদান করার আপাতত সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এখানেও পাঠদান করতে নানা সমস্যা হচ্ছে।প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, পাকা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া, নামো দশ রশিয়া, উপর দশ রশিয়া, হলদিপাড়া, ঝাইলপাড়াসহ আটটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ে পড়ে। এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩৩ জন। উপস্থিতির সংখ্যাও ভালো (৯২-৯৫%)। ফলাফলও ভালো। এখান থেকে প্রায় প্রতিবছরই বৃত্তি পায় শিক্ষার্থীরা।শামসুল হক জানান, বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে কিছু ঢেউটিনও পাওয়া গেছে। কিন্তু অর্থের অভাবে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা যাচ্ছে না। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলরুবা বেগম বলেন, এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। | 177,253 |
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫২ | ২১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫৪ | মানিকগঞ্জ,বিশাল বাংলা,ঢাকা বিভাগ | 0 | প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/508354 | মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা এলাকায় অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী পুনর্বাসন নিবাসের (রহম) তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৪০ জন শিশু রয়েছে। গতকাল বিকেলে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আবু সাঈদ মামুনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক কিরণ শংকর বিশ্বাস, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরুল ইসলাম, রহমের প্রধান নির্বাহী নাজনীন বেগম ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস। | 132,897 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:৫০ | ০৩ আগস্ট ২০১৬, ০০:৫০ | কুমিল্লা,মহানগর | 0 | সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/933688 | কুমিল্লা নগরের জাঙ্গালিয়া-আশ্রাফপুর বাস টার্মিনাল সংস্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার তিন ঘণ্টা সড়কের ওপর এলোপাতাড়ি বাস রেখে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করেছেন জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।খবর পেয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল আওয়াল বাস টার্মিনালে আসেন। এরপর তিনি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টার্মিনাল ভবনে বৈঠকে বসেন। পরে তাঁর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা ব্যারিকেড তুলে নেন।বৈঠকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, আজ বুধবারের মধ্যে সংস্কারকাজ শুরু না হলে বৃহস্পতিবার থেকে টানা কর্মসূচি দেওয়া হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি ইউনুস মিয়া বলেন, ২০১১ সালে জাঙ্গালিয়া-আশ্রাফপুর নতুন বাস টার্মিনালটি স্থাপন করা হয়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় টার্মিনালটি চষা জমিতে পরিণত নিয়েছে। টার্মিনালে বছরজুড়ে পানি লেগে থাকে। তার ওপর টার্মিনালের ভেতরে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এসব বিষয়ে পরিবহন মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তাঁরা কোনো সাড়া দেননি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে শুয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।শ্রমিক ইউনিয়নের সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক বাবুল আহমেদ সুমন বলেন, এ টার্মিনালে এসে যাত্রীরা নাকাল হয়ে পড়েন। এখানে শৌচাগার নেই, নামাজের ঘর নেই, বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। অথচ প্রতিদিন বাসপ্রতি ৪০ টাকা করে সিটি করপোরেশনকে দিতে হচ্ছে। এখান থেকে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক বাস দূরপাল্লার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বাস টার্মিনালটি সংস্কারের জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার কাজ হবে। বর্ষার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে বুধবার থেকে কাজ শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৪ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে কাজ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তখন আর যাত্রীদের ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।এ টার্মিনাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চাঁদপুরের কচুয়া, চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর, নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, বরুড়া ও বরুড়ার ভাতেশ্বরসহ ১৪টি সড়কপথে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এখান থেকে দক্ষিণ কুমিল্লার ২৫ লাখ মানুষ যাতায়াত করে। | 246,178 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৪ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৫ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবসে পটিয়া যুব সমিতির সভা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/332011 | ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বিপ্লবী যোদ্ধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৮২তম আত্মাহুতি দিবস উপলক্ষে পটিয়া যুব সমিতির আলোচনা সভা ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটায় নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মো. ইদ্রিস। বক্তব্য দেন মুহাম্মদ সাজ্জাত হোসাইন, এস এম মোরশেদ, বিশ্বজিৎ কুমার দেব, অঞ্জন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, আবু সাঈদ তানভীর, মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘কালের বিবর্তনে আমরা ভুলে যেতে বসেছি আমাদের বীরদের, যাঁদের আত্মাহুতি ও উৎসর্গে আমরা আজ স্বাধীন।’ বিজ্ঞপ্তি। | 97,179 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া এবং প্রতিনিধি, মাগুরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জুন ২০১৯, ১৬:০৪ | ১৫ জুন ২০১৯, ১৭:৩৯ | সড়ক দুর্ঘটনা,মাগুরা,বগুড়া,দুর্ঘটনা,মাগুরা সদর,অপমৃত্যু | 0 | সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহীসহ নিহত ৪ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1598067 | মাগুরা ও বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী ও এক অটোভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার এবং ঈদের দিন বুধবার ও ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।মাগুরা: মাগুরায় ইঞ্জিনচালিত নছিমনের সঙ্গে সংঘর্ষে সোহাগ (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সদর উপজেলার পাকা কাঞ্চনপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সোহাগ শালিখা উপজেলার কালীবাড়ি গ্রামের ওহাব মোল্লার ছেলে।মাগুরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পারভেজ আহমেদ জানান, নিহত সোহাগ একজন নির্মাণশ্রমিক। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, মোটরসাইকেলে করে মাগুরার দিকে আসছিলেন সোহাগ। পাকা কাঞ্চনপুর আসার পর বিপরীত দিক দিয়ে আসা ইঞ্জিনচালিত একটি নছিমনের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।বগুড়া: বগুড়ায় ঈদের আনন্দে দর্শনীয় স্থান ঘুরে ফেরার পথে পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার প্রাণ ঝরেছে দুই তরুণ-তরুণীর। আরেক দুর্ঘটনায় পিকআপচাপায় নিহত হয়েছেন এক অটোভ্যানচালক।হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার বন্ধুদের সঙ্গে বগুড়ার পাঁচ তারকা হোটেল মম ইনে ঘুরতে যান বগুড়া শহরের করনেশন ইনস্টিটিউশনের কলেজ শাখার উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র আইনুর রহমান (২৩)। রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বগুড়া শহরের দিকে ফেরার পথে নওদাপাড়া এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ওঠামাত্র মাইক্রোবাসের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আইনুর নিহত হন। তাঁর বাড়ি গাবতলী উপজেলার লস্করীপাড়া গ্রামে।হাইওয়ে পুলিশের গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছে।অন্যদিকে ঈদের দিন বুধবার সারিয়াকন্দি উপজেলার প্রেম যমুনা ঘাটে বেড়ানো শেষে বন্ধুর মোটরসাইকেলে বগুড়া শহরে ফিরছিলেন স্মৃতি (২৩) নামে এক তরুণী। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগলে স্মৃতি নিহত হন। তাঁর বাড়ি শহরের ফুলদীঘি এলাকায়।বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।অপর দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের দিন সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে।প্রত্যক্ষদর্শীও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানচালক কাশেম আলী (৪২)। কয়েকজন যাত্রী ভ্যানে উঠে পড়েছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি পিকআপ ভ্যান চাপা দিলে চালক কাশেম আলীসহ অপর তিন যাত্রী আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় কাশেম আলীকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।নিহত কাশেম আলী বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট সিংজানি গ্রামের বাসিন্দা।কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কাজল কুমার নন্দী জানান, দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানের চালক শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। | 405,088 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৩৮ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৩৯ | রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ | 0 | গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/44783 | অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এইমওয়ে করপোরেশন লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক রেদওয়ান বিন ইসহাককে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পল্টন থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি বরিশালের চরমোনাইয়ের পীর মরহুম সৈয়দ ফজলুল করীমের সৎভাই। নিজস্ব প্রতিবেদক। | 14,388 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০১ | ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০১ | আনন্দ | 0 | আপনার প্রশ্ন, তারকার উত্তর | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1135151 | আনন্দ পাঠকদের জন্যই আপনার প্রশ্ন, তারকার উত্তর বিভাগ। এই বিভাগে ভক্ত ও অনুসারীদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন তারকারা। আজ এই বিভাগে হাজির হয়েছেন গায়ক ও অভিনেতা তাহসান।আপনি একসঙ্গে গান, অভিনয় ও শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনটি? কোনটি বেশি আনন্দদায়ক এবং নিজেকে কী হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?মোরছালিন ইসলামইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।তাহসান: সবচেয়ে আনন্দ গানে। আর গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশের বিনোদন জগতে ভালো কিছু করা, যেন আমার দেশ আর মানুষ আমার দেশের বিনোদন জগৎ নিয়ে গর্ব করতে পারেন। আর পরিচয়? এখন স্বপ্ন দেখি লেওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বা সত্যজিৎ রায়ের মতো একজন পলিম্যাথ (বহুমুখী প্রতিভা) হব। সেই শিখরে হয়তো পৌঁছাব না, কিন্তু স্বপ্ন দেখতে দোষ কী?আমি যদি তাহসান ভাইয়াকে আমার বাসায় দাওয়াত করি, তাহলে কি আসবেন?মো. শিবলু ইসলামকরটিয়া, টাঙ্গাইলতাহসান: আগে অবসর নিয়ে নিই। তারপর ভক্তদের বাড়িতে বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে শেষ জীবনটা কাটিয়ে দেব। কী বলেন? | 309,838 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২৬ | ২৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২৭ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),ঢাকা বিভাগ,অপরাধ | 0 | ট্রাফিক সিগন্যালে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1028705 | ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা ছয়টা। বাংলামোটর ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে কারওয়ান বাজারমুখী সব গাড়ি। হঠাৎ উৎকট গন্ধ লাগে নাকে। জটধরা চুল আর ছেঁড়া কাপড়ের টুকরা কোমরে জড়ানো কথিত ‘পাগল’-এর বেশধারী একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাশে এসে দাঁড়ালেন। হাতে ধরা স্বচ্ছ পলিথিন দেখিয়ে বললেন, ‘এক শ ট্যাকা দে, নাইলে শইল্যে গু দিয়া দিমু।’ঢাকার রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন নগরবাসী। ‘পাগল’, ‘বেদে’ বা ‘হিজড়া’ পরিচয় নিয়ে অনেকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছেন।বাংলামোটর সিগন্যালে গায়ে বিষ্ঠা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে মাস খানেকের বেশি সময় ধরে। এই প্রতিবেদকও হয়রানির শিকার। ঢাকার রাস্তার ট্রাফিক পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য বিনিময়ের সবচেয়ে বড় ফেসবুক গ্রুপ ‘ট্রাফিক অ্যালার্ট’-এ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলামোটর সিগন্যালে এই চাঁদাবাজি নিয়ে এক ব্যবহারকারী পোস্ট দেন। সেই পোস্টে ওই পথে যাতায়াতকারীরা অভিযোগ করেন, ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা বিষয়টি দেখেও দেখেন না।বাংলামোটর সিগন্যালটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দক্ষিণ বিভাগের রমনা জোনের অধীনে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (রমনা ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলামোটর সিগন্যালের এই ঘটনা তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তিনি বলেন, তাঁর জানামতে রূপসী বাংলা সিগন্যালে হিজড়াদের তৎপরতা ছিল, যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।হিজড়া আর বেদেরাও ঢাকার বিভিন্ন সিগন্যালে চাঁদাবাজি করছে। গুলশানের বাসিন্দা মো. তৌফিক আলম বলেন, এ মাসের শুরুতে গুলশান ১ নম্বর সিগন্যালে তিনজন হিজড়ার একটি দল তাঁর গাড়ির ওপর চড়ে বসে টাকা দাবি করতে থাকে। তৌফিক বলেন, ‘ওদের একজন গাড়ির বনেটে বসে ৫০০ টাকা দাবি করে। ১০০ টাকা দিয়ে মুক্তি পাই। এসব দেখার তো কেউ নাই।’ ধানমন্ডি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নিউমার্কেট সিগন্যালে বেদে নারীর বেশধারী কয়েকজন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন শিক্ষার্থী নওরীন রহিম। নওরীন বলেন, তাঁরা এসে টাকা দাবি করলে তিনি চুপচাপ থকেন। একপর্যায়ে হাতে থাকা কাঠের বাক্স থেকে একজন সাপ বের করে ভয় দেখান।এসব হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়গুলো যখন আমাদের নজরে আসে তখন ব্যবস্থা নিই। সব সময় আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় না।’ সিগন্যালে বা পথে এ ধরনের হয়রানির মুখে পড়লে নিকটস্থ থানা অথবা আশপাশের কোনো পুলিশ সদস্যকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি। | 269,101 |
নরসিংদী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ আগস্ট ২০১৬, ০০:৫০ | ২৭ আগস্ট ২০১৬, ০০:৫০ | নরসিংদী,রাজধানীর চারপাশ,দুর্ঘটনা | 0 | একজন নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/958741 | নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বিকাশ কৃষ্ণ দাস (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বদিকে আরশিনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিকাশের বাড়ি সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায়। নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (জিআরপি) উপপরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিকাশ পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। | 253,894 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৮:৫০ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৩:৩৭ | সাতক্ষীরা,সাতক্ষীরা সদর,খুলনা বিভাগ,অপরাধ | null | সাতক্ষীরায় পিটুনিতে আহত আ. লীগ কর্মীর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/96037 | সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তদের পিটুনিতে আহত আওয়ামী লীগের এক কর্মী আজ বুধবার ভোরে মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তুলে নিয়ে তাঁকে পিটুনি দেওয়ার পর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন ছিলেন।নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল হামিদ (৪৮)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামের জমির আলী বিশ্বাসের ছেলে।হামিদের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন জানান, তাঁর স্বামী পেশায় একজন কৃষক। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গতকাল বিকেল চারটার দিকে বাড়ি থেকে বের হন হামিদ। রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি জানতে পারেন, পার্শ্ববর্তী মাধবকাটি বাজার থেকে সাত-আটজনের একটি দল তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। রাত নয়টার দিকে একই এলাকার পাঁচরকি বিল থেকে তাঁর স্বামীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রামবাসী। পরে তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিত্সক পরিমল কুমার বিশ্বাস জানান, চিকিত্সাধীন অবস্থায় আজ ভোর চারটার দিকে মারা যান হামিদ। তাঁর বাম হাত ও দুই পায়ের একাধিক স্থান ভাঙা ছিল। শরীরে একাধিক স্থানে মারাত্মক জখম ছিল।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তদন্ত না করে তা বলা যাচ্ছে না। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 34,723 |
প্রতিনিধি, মুম্বাই | entertainment | বিনোদন | ২৫ জুলাই ২০১৮, ২২:৪৭ | ২৬ জুলাই ২০১৮, ১৪:৩৮ | বলিউড | null | প্রিয়াঙ্কা সালমানের স্ত্রী! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1540111 | বাস্তবে সালমান খান আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া শুধুই বন্ধু। কিন্তু পর্দায় তাঁদের সম্পর্ক অন্য। আলী আব্বাস জাফরের ‘ভারত’ ছবিতে সালমান খানের স্ত্রী চরিত্রে নাকি দেখা যাবে এই বলিউড ও হলিউড সুন্দরীকে। শুধু তা-ই নয়, এই ছবিতে সালমানকে দেখা যাবে পাঁচটি ভিন্ন রূপে। ‘ভারত’ ছবি ঘিরে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। আর ছবিটি নিয়ে সবার মনে কৌতূহলের শেষ নেই। আর হবে না-ই বা কেন! আলী আব্বাস ও সালমানের জুটি সব সময় সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছে। এর আগে তাঁরা ‘সুলতান’ ও ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর মতো ছবি দিয়েছেন। তবে ‘ভারত’ ছবিতে সালমানকে নানা রূপে দেখা যাবে। শুধু বলিউডের ভাইজানকে নয়, প্রিয়াঙ্কাকেও পাঁচটি আলাদা আলাদা লুকে দেখা যাবে এই ছবিতে। ‘ভারত’ ছবিতে একজন মানুষের ৫০ বছরের জীবনকে তুলে ধরা হয়েছে। তাই প্রত্যেক ১০ বছর অন্তর অন্য সালমান ধরা দেবেন। যুবক থেকে বৃদ্ধ ভাইজানকে দেখা যাবে পর্দায়। ৫২ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে ২০ বছরের যুবক রূপে দেখা যাবে বলিউডের এই সুপারস্টারকে। আর তার জন্য অনেক ঘাম ঝরিয়ে নিজেকে রোগা করেছেন তিনি। এমনকি সালমানকে নাকি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’র লুকেও দেখা যাবে ‘ভারত’ ছবিতে।‘ভারত’ ছবিতে সাল্লু ভাইয়ের বোনের চরিত্রে নাকি অভিনয় করবেন দিশা পাটানি। সালমান আর প্রিয়াঙ্কাকে ভিন্ন রূপে দেখানোর জন্য প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।‘ভারত’ কোরিয়ার ‘অড টু মাই ফাদার’ ছবির অফিশিয়াল রিমেক। তাই গল্পের খুব একটা পরিবর্তন হবে না। তবে যেহেতু ভারতের পটভূমিকায় এই ছবিটি, তাই কিছুটা পরিবর্তন দেখানো হবে। সালমানকে ‘ভারত’ ছবিতে এক সার্কাস কোম্পানির ‘মোটরসাইক্লিস্ট’ হিসেবে দেখা যাবে। ছবিতে পরিবারের দেখভালের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সালমান সার্কাসে কাজ করেন। দিশাকে দেখা যাবে সার্কাসের ট্রাপিজ খেলোয়াড় হিসেবে। আর এই ছবির জন্য এই দুই তারকাকে প্রচুর প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। আলী বিদেশ থেকে বিশেষ প্রশিক্ষক নিয়ে এসেছেন দিশাকে ট্রাপিজের খেলা শেখাতে। দিশা তাঁর চরিত্রের প্রয়োজনে জিমন্যাস্টিকসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এমনকি এই বলিউড সুন্দরীকে আগুন নিয়ে অত্যন্ত সাহসী স্টান্ট করতে যাবে। সালমানকে ‘ভারত’ ছবিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইকের ওপর প্রচুর স্টান্ট করবেন বলে জানা গেছে।গত রোববার মুম্বাইয়ের ফিল্মিস্থান স্টুডিওতে ‘ভারত’ ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। শিডিউলের প্রথম পর্যায়ে সার্কাসের দৃশ্যগুলো শুট করা হবে। পরিচালক আলী আব্বাস সম্প্রতি ‘ভারত’ ছবির প্রথম পর্যায়ের শুটিংয়ের একটি সার্কাসের সিকোয়েন্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সালমান খানের পেছনে আগুনের লেলিহান শিখা। মুম্বাই ছাড়া ভারতের পাঞ্জাব আর দিল্লিতে ছবির শুটিং হবে। এ ছাড়া আবুধাবি এবং স্পেনেও ছবির কিছু অংশের শুটিং হবে।আগামী বছর ঈদে পর্দায় দেখা যাবে আলী আব্বাস আর সালমানের ‘ভারত’ ছবিকে। এর আগে দুটি ঈদে এই জুটি তাঁদের ভক্তদের দিয়েছেন দুর্দান্ত উপহার। ‘সুলতান’ ও ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবি দুটি ঈদের সময় মুক্তি পেয়েছিল। আর এ দুটি ছবিই বক্স অফিসে ধামাকা ফেলেছিল। আশা করা যায়, এই জুটি আবার পর্দা মাতাবেন। | 371,444 |
সামছুর রহমান | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৫, ০৩:০৬ | ২১ আগস্ট ২০১৫, ০৩:০৭ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়) | null | ময়লা–আবর্জনা ও পানিতে সয়লাব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/608749 | ভবনের সেপটিক ট্যাংক নেই। চারপাশ ঘিরে রাখা উন্মুক্ত নর্দমায় মনুষ্য বর্জ্য ভাসছে। আশপাশের লোকজনও নর্দমায় মূত্রত্যাগ করছেন। এদিক-ওদিক ঘুরছে কুকুর আর ছাগল। ভবনের সামনে-পেছনের ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।দৃশ্যটি রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল এবং জাতীয় জলাতঙ্ক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের। এটি এখন নিজেই যেন সংক্রমিত। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, প্রবেশ ফটক এবং হাসপাতালের চারদিকে নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। পয়োনিষ্কাশনের পাইপ ফেটে বেরিয়ে আসা মলমূত্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরের শৌচাগারগুলোর বেহাল দশা।কুকুরের কামড়ে আহত বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন মিরপুরের রিয়াজ মাহমুদ। হাসপাতালের এমন পরিবেশ দেখে কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘হাসপাতালের দেয়ালে লোকজন মূত্রত্যাগ করছে—এমন দৃশ্য দেখতে হবে ভাবিনি। চারপাশে উৎকট গন্ধ। সুস্থ হওয়ার বদলে তো লোকজন অসুস্থ হয়ে যাবে।’হাসপাতালের মূল ভবনের সামনে ময়লা-আবর্জনা ও পানি জমে আছে। কয়েক দিন ধরে জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা ভেসে আছে। হাসপাতালের আঙিনায় কুকুর, ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভবনের পাশের ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা আবর্জনায় ভনভন করছে মাছি। কয়েকজন সেখানে বসে ধূমপান করছেন। হাসপাতালে পরিচালকের কোনো পদ নেই। হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্টকে এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। বর্তমানে সিনিয়র কনসালট্যান্ট আঞ্জুমান আরা আছেন এ দায়িত্বে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা কোনো হাসপাতালের পরিবেশ হতে পারে না। পুরোটা হাসপাতাল ডাস্টবিন হয়ে গেছে। সেপটিক ট্যাংক নেই, সুয়ারেজের পাইপ সবই নষ্ট হয়ে গেছে।’স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ নিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ করে গণপূর্ত বিভাগ। আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগকে বিভিন্ন বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। ছাদ থেকে পানি পড়া বন্ধ, শৌচাগারের পাইপগুলো বদল এবং সেপটিক ট্যাংক বানিয়ে দেওয়ার কাজগুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’হাসপাতালের সীমানা দেয়াল ঘেঁষে কয়েক শ অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে। মূল ফটকের সামনে কাঠ-বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে তৈরি সারি সারি দোকান। দোকানের আশপাশে পচা শাকসবজি, মাছের আঁশ নানা ধরনের ময়লা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশের সাততলা বস্তির লোকজন মূলত এসব দোকানের ক্রেতা। চারপাশের নোংরা পরিবেশের কারণ হিসেবে আঞ্জুমান আরা দায়ী করলেন এসব দোকানপাটকে। তিনি বলেন, ‘দোকানগুলো অবৈধ। পুলিশ এসে ভেঙে দিলে আবার গড়ে তোলে। ময়লা না ফেলতে বারবার বলে আসি কিন্তু তারা ময়লা ফেলে।’ হাসপাতালের সামনেই কর্মচারীদের থাকার আবাসিক এলাকা। কিন্তু সেখানে প্রবেশ করতে হলে দুর্গমগিরিমতো সড়ক পাড়ি দিতে হয়। ভবনের সামনে কয়েক দিনের ময়লা পানি, শেওলা। পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ভাঙা সড়কে চলার উপায় নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের থাকার জায়গার অবস্থা সব থেকে খারাপ। পুরো হাসপাতালটা ময়লার মধ্যে ডুবে আছে। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই, ময়লা পানিতে সয়লাব। বাধ্য হয়ে এখানেই থাকতে হচ্ছে।’হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোর্শেদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে কাজগুলোর বরাদ্দ দেয়, সেগুলোই করতে পারি। আমরা বরাদ্দ চেয়েছি। জরুরি হলে দৈনন্দিন মেরামত খরচ থেকে ঠিক করে দেব।’ তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পে এই হাসপাতালের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ, সামনের রাস্তা ও সুয়ারেজের লাইন সংস্কারকাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ অর্থবছরের মধ্যেই এগুলোর বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। | 161,733 |
কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১৯ | ১৯ এপ্রিল ২০১৫, ০২:২০ | কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | আহত যুবকের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/506656 | কুষ্টিয়া শহরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত উজ্জ্বল হোসেন (২৭) নামের এক তরুণ মারা গেছেন। উজ্জ্বল শহরের কালিশংকপুরের বাসিন্দা আজিজুল হকের ছেলে। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে আড়ুয়াপাড়ায় দুই দল তরুণের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের বিপুল ও মানিক নামের দুজন উজ্জ্বলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উজ্জ্বল মারা যান। | 132,353 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৮ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৩ | ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১২:১০ | সফটওয়্যার,খবরাখবর,বেসিস,তথ্যপ্রযুক্তি | 0 | করপোরেট খাতে এল সেবা এক্সওয়াইজেড | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1585706 | সেবা এক্সওয়াইজেড বাংলাদেশের অনলাইন সেবাভিত্তিক মার্কেটপ্লেস। বাসাবাড়ির জন্য এয়ার কন্ডিশন সার্ভিস, ইলেকট্রিক অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্স, প্লাম্বিং ও স্যানিটারি, ফার্নিচার তৈরি ও মেরামত, ওয়াল পেইন্টিং, বাসাবাড়ি পরিষ্কারসহ অনেক সার্ভিস রয়েছে সেবার অ্যাপে। এত দিন ব্যক্তিগত ও ছোট পরিসরে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি তাদের সেবার আওতা বাড়িয়ে করপোরেট খাতে সেবা দিতে শুরু করেছে।সেবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে এখন নানা রকম সেবার জন্য কর্মী প্রয়োজন পড়ে। এসব কর্মী তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারীর কাছ থেকে বেছে নিতে হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। অনেকেই পেশাদার সেবাদাতা খুঁজতে অনলাইনে আসছেন। অনলাইন সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেবা এক্সওয়াইডজেড করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভালো সমাধান হয়ে উঠেছে।সেবার ব্যবসা বিভাগের প্রধান ঈসা আবরার আহমেদ বলেন, করপোরেট গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেড নামে একটি ব্যবসাভিত্তিক সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বেসিস সফটওয়্যার মেলায় ওই সেবা প্রদর্শন করা হয়। এ প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা নিতে পারবে অ্যাপ থেকেই। গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে সেবার অ্যাপ। | 395,598 |