author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিবিসি | international | আন্তর্জাতিক | ০২ আগস্ট ২০১৬, ০১:০২ | ০২ আগস্ট ২০১৬, ০১:০৪ | এশিয়া | 0 | প্রথমবারের মতো নারী গভর্নর পেল টোকিও | http://www.prothom-alo.com/international/article/932680 | জাপানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউরিকো কোইকে দেশটির রাজধানী টোকিওর গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিই প্রথম কোনো নারী, যিনি এই পদে নির্বাচিত হলেন।গত রোববারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কোইকে ২৯ লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে। ২০২০ সালের অলিম্পিক গেমসের আয়োজক এই নগর এখন তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা কাটিয়ে ওঠাটাই হবে নতুন গভর্নরের বড় চ্যালেঞ্জ। টোকিওর আগের গভর্নর ইয়োচি মাসুজো আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পদত্যাগ করেন।নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর কোইকে বলেন, ‘টোকিওর রাজনীতিতে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করব আমি। আপনারা এমন এক টোকিও দেখবেন, যা আগে দেখেননি।’প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সদস্য কোইকে। তবে গভর্নরের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। | 245,855 |
লন্ডন প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ আগস্ট ২০১৫, ১৯:১৪ | ০৩ আগস্ট ২০১৫, ২১:২৮ | যুক্তরাজ্য | null | অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নে ‘নয়া কৌশল’ যুক্তরাজ্যের | http://www.prothom-alo.com/international/article/592549 | অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে নতুন কৌশল নিয়েছে যুক্তরাজ্যর সরকার।সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী কোনো ধরনের আইনি নোটিশ ছাড়াই মালিকপক্ষ অবৈধ অভিবাসীদের বাসা থেকে উচ্ছেদ করতে পারবেন। মূলত রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে যাঁরা ব্যর্থ হবেন, তাঁদের দ্রুত বিতাড়নের উদ্দেশ্যেই এমন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।সরকার অবৈধ অভিবাসী চিহ্নিত ও বিতাড়নের দায়িত্ব বাড়ির মালিকদের ওপর চাপাচ্ছে বলে সমালোচনা উঠেছে। আবার ঝামেলা এড়াতে মালিকপক্ষ বাসা ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী বাসিন্দা বা শ্বেতাঙ্গদের প্রাধান্য দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে বৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে অবৈধ অভিবাসীদের বাসা ভাড়া নেওয়া ঠেকাতে ভাড়াটিয়ার যুক্তরাজ্যে বসবাসের বৈধ কাগজপত্র যাচাইয়ের বিধান চালু করে সরকার।২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া ওই নিয়মটি এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রয়োগ করার কথা রয়েছে। ওই নিয়মে অবৈধ অভিবাসীর কাছে বাসা ভাড়া দিলে তিন হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে যেকোনো ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদের বিষয়টি এত দিন আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত।আজ সোমবার সরকারের নতুন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে যাঁদের আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) প্রার্থনার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে, তাদের সম্পর্কে নোটিশ জারি করবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই নোটিশের আলোকে মালিকপক্ষ সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়া ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে পারবে। আবার বাসা ভাড়া দেওয়ার পূর্বে ভাড়াটিয়ার যুক্তরাজ্যে অবস্থানের বৈধতা যাচাইয়ের বিধানটিও বলবৎ থাকবে। বাড়ি ভাড়ার এসব নিয়ম দুই দফা ভঙ্গ করলে মালিকপক্ষকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য জেলে যেতে হবে।নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ামাত্রই আশ্রয়প্রার্থীদের সরকারি ভাতা প্রাপ্তি বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এমন প্রায় ১০ হাজার অভিবাসী সপ্তাহে ৩৬ পাউন্ড করে সরকারি ভাতা পাচ্ছেন। গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স সীমান্ত ক্যালেইসে শত শত অভিবাসী জোরপূর্বক যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সরকারের ভাষ্য, যুক্তরাজ্য যে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য নিরাপদ নয়, সেই বার্তাই দেবে নতুন পরিকল্পনা।দেশটির কমিউনিটিজ সেক্রেটারি গ্রেগ ক্লেয়ার্ক বলেন, ভিসা প্রত্যাখ্যাত হওয়ামাত্র অবৈধদের বিতাড়নে সরকারের ভিসা অফিস, বাড়ির মালিক, পুলিশ বিভাগ এবং স্থানীয় কাউন্সিল একযোগে কাজ করবে। সরকারি হিসাব মতে, গত বছর মোট ৩৬ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাজ্য থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে।ইংরেজি না জানলে জনসম্পৃক্ত সরকারি চাকরি নয়গতকাল রোববার প্রকাশিত যুক্তরাজ্য সরকারের অন্য এক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, দেশটিতে ইংরেজি ভাষায় ভালো দখল না থাকলে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে এমন সরকারি চাকরি কেউ করতে পারবেন না। হাসপাতালকর্মী, শিক্ষক, পুলিশ কিংবা লাইব্রেরির মতো জনসম্পৃক্ত ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে। যেসব অভিবাসী বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছেন তাদেরও ইংরেজির দক্ষতা যাচাই করা হবে। এ দক্ষতা যাচাইয়ে সরকার একটি নীতিমালা প্রকাশ করবে। অভিবাসীরা সরকারি চাকরি করতে চাইলে তাঁদের অবশ্যই জিসিএসই লেভেল (মাধ্যমিক পর্যায়ের) এর ইংরেজি ভাষা জানতে হবে। এই নিয়মটিও নতুন অভিবাসন বিলে যুক্ত করা হবে। | 157,009 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৫৬ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৯:০২ | -1 | 0 | প্রধান তথ্য কর্মকর্তা পদে প্রথমবারের মতো নারী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1079753 | সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেগম কামরুন নাহার। আজ রোববার তিনি তথ্য অধিদপ্তরে যোগ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হলেন।তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বিসিএস ১৯৮৪ নিয়মিত ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।কর্মজীবন শেষ করায় আজ বিদায়ী সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে সংবর্ধনা ও নতুন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বেগম কামরুন নাহারকে বরণ করে নেন তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। | 292,688 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৭ অক্টোবর ২০১৩, ১৬:৩৪ | ০৭ অক্টোবর ২০১৩, ২০:১৮ | ইউরোপ | null | চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিনজন | http://www.prothom-alo.com/international/article/53779 | চিকিৎসাবিজ্ঞানে চলতি বছর তিন ব্যক্তি নোবেল পেয়েছেন। তাঁর হলেন যুক্তরাষ্ট্রের জেমস রথম্যান ও রেনডি শেকম্যান এবং জার্মানির থমাস সুডহফ।আজ সোমবার সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়।কোষের স্থানান্তর পদ্ধতির সংগঠন প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার জন্য রথম্যান, শেকম্যান ও সুডহফকে এ বছর চিকিত্সাবিজ্ঞানে নোবেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। | 22,334 |
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ মার্চ ২০১৭, ০৩:০৬ | ২৬ মার্চ ২০১৭, ০৩:০৭ | দিনাজপুর,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | বাড়ির বারান্দা থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1120333 | দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পাঠানপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে গতকাল শনিবার পপি রানী (১০) নামের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পপি উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের দিনমজুর দীনেশ চন্দ্রের মেয়ে। সে হাবড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।দীনেশ চন্দ্র বলেন, স্ত্রীসহ তিনি সকাল নয়টার দিকে কাজের সন্ধানে মাঠে গিয়েছিলেন। বাড়িতে কেবল পপি ছিল। ১ ঘণ্টা পর সকাল ১০টায় বাড়িতে এসে বারান্দার চালের বাঁশে পপির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।পার্বতীপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সঞ্জিব কুমার বর্মণ বলেন, মারা যাওয়া মেয়েটির মা-বাবা মেয়ের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। | 306,552 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩০ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩২ | -1 | 0 | ২৩ জেলায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1075251 | সমকাল-এর শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আবদুল হাকিম হত্যার প্রতিবাদে গতকাল রোববার দেশের ২৩টি জেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশ থেকে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ আবদুল হাকিম গত শুক্রবার মারা যান। তিনি শাহজাদপুরের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত পৌর মেয়র হালিমুল হকের শটগানের গুলিতে মারা গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে উপজেলা সাংবাদিক নাগরিক ঐক্য পরিষদ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন।গাজীপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দুপুরে মানববন্ধন, সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করেন সাংবাদিকেরা। একই দাবিতে শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, শ্রীপুর উপজেলা সাংবাদিক সমিতি ও শ্রীপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিকেরা মানবপ্রাচীর তৈরি ও ইউএনওকে স্মারকলিপি দেন।ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ও উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকেরা। নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌরসভার সামনের সড়কে নেত্রকোনা সাংবাদিক সমাজ এবং সমকাল-এর পাঠক সংগঠন ‘সুহৃদ সমাবেশ’ জেলা কমিটি মানববন্ধন করে।পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিকেরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলা ও নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।পাবনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে শিমুল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এবং শেরপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন হয়েছে। সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। গোপালগঞ্জে কালো ব্যাজ ধারণ, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।জয়পুরহাটে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বক্তারা আগামী সাত দিনের জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা সদরে সকালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়। সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় মানববন্ধনে অংশ নেন নানা শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ।জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন থেকে সারা দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।বরিশালের গৌরনদী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা। ফরিদপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকেরা। মানিকগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা বন্ধের দাবি জানান। ফেনী প্রেসক্লাব শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন করে।সাংবাদিক হত্যার বিচারে আলাদা ট্রাইব্যুনালের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন। নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। | 290,812 |
সৈয়দ আবুল মকসুদ | opinion | মতামত | ১৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:১৯ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:১০ | সৈয়দ আবুল মকসুদ,সহজিয়া কড়চা,মতামত,রাজনীতি,লেখকের কলাম | null | বাঙালি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/422317 | দেশপ্রেম জিনিসটি মালকোঁচা মেরে প্রকাশের বিষয় নয়। আস্তিন গুটিয়ে বা কোমরে কাপড় পেঁচিয়ে দেশপ্রেম প্রকাশের প্রয়োজন হয় না। বল্লমের মতো হাত আকাশের দিকে তুলে বা মঞ্চে সজোরে পদাঘাত করে দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যায় না। দেশপ্রেম এমন এক নির্মল ও পবিত্র আবেগ, যার প্রকাশ ঘটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং তা যে কেউ বুঝতে পারে এবং তাতে মাথা নত করে সবাই। বিকট চিৎকার দিয়ে দেশপ্রেম প্রকাশ করে কেউ যদি মানুষকে বলে, ‘এই ব্যাটারা দেখ্ আমি দেশপ্রেম দেখাচ্ছি, তোরা আমাকে শ্রদ্ধা কর’; তাতে কাজ হয় না। গলায় গামছা দিয়ে কারও থেকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা আদায় করা যায় না, দাস-দাসী থেকে করা গেলেও, জনগণ থেকে তো করা যায়ই না।বাঙালি এক অদ্ভুত জনগোষ্ঠী। অতি অনিশ্চিত তার স্বভাব। তার এক প্রজন্মের সঙ্গে আরেক প্রজন্মের স্বভাব-চরিত্রে মিলের চেয়ে গরমিল বেশি। এক প্রজন্ম যদি স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তো আরেক প্রজন্ম তা খোয়াতে কিছুমাত্র দ্বিধা করে না। বাঙালির এক প্রজন্ম যদি সাহিত্য-বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে তো আরেক প্রজন্ম ২৮ দিনে ৫ হাজার ৬০০ বই প্রকাশকেই মনে করে বিরাট বাহাদুরি। এক প্রজন্মের কাছে মান বড় তো আরেক প্রজন্মের কাছে পরিমাণ। এক প্রজন্মের এক বিজ্ঞানী যদি বলেন, গাছের প্রাণ আছে, খবরদার নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া গাছের গোড়ায় করাত বা কুড়াল চালিয়ো না, ডালপালাও কেটো না। গাছের অনুভূতি আছে, ওরা ব্যথা পায়। আরেক প্রজন্ম কথায় কথায় গাছ কেটে সাবাড় করে। বাঙালির এক প্রজন্ম যদি বাংলা ভাষার জন্য রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করে, স্লোগান দেয় ‘উর্দু না বাংলা বাংলা’; আরেক প্রজন্মের কাছে ইংলিশ ও হিন্দির কদর বেশি। এক প্রজন্ম যদি ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তো আরেক প্রজন্ম ধর্মান্ধতা ও ধর্মীয় মৌলবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এক প্রজন্ম যদি বাক্স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করে তো আরেক প্রজন্ম বাক্স্বাধীনতা ও মানবাধিকার হরণ করে আনন্দ পায়। বাঙালির এক প্রজন্ম যদি গণতন্ত্রের জন্য অকাতরে জীবন দেয় তো আরেক প্রজন্ম গণতন্ত্র হত্যা করে সুখ পায়। বাঙালির কোন প্রজন্ম কী আচরণ করবে, তা বিধাতার পক্ষেও অনুমান করা অসম্ভব। সুতরাং বিধাতা বাঙালিকে যেমন খুশি তেমন চলার জন্য ‘চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া’। তাকে কে রুধিবে দিয়ে বালির বাঁধ?চিরস্থায়ী একটি দেশ এক জিনিস, রাষ্ট্র আর এক জিনিস এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র আর এক জিনিস। বনে-জঙ্গলেও বহুকাল মানুষ বসবাস করেছে। সেখানে বসবাসকারী মানুষেরা কেউ নাগরিক নয়। সুস্পষ্ট বিধিবিধান দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্রের অধিবাসীরাই নাগরিক। নাগরিকেরাই ভোগ করে রাষ্ট্র প্রদত্ত বা সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং তাদের রয়েছে রাষ্ট্রের প্রতি অবশ্যপালনীয় কিছু দায়িত্ব। রাষ্ট্র যেমন নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করতে পারে না, তেমনি সে তার নাগরিক দায়িত্বও এড়াতে পারে না। মৌলিক অধিকার ও দায়দায়িত্ব সবার ক্ষেত্রে সমান প্রযোজ্য। রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষটি এবং পথের সহায়-সম্বলহীন নিঃস্ব ভিখেরি উভয়েরই মৌলিক মানবাধিকার সমান। যদি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাউকে তার সেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, তাহলে তাকে আর ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান বা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বলে আখ্যায়িত করা যায় না। তাকে যদি কেউ জংলি দেশ বলে, তার প্রতিবাদ করা যাবে না।একটি দেশকে প্রজাতন্ত্রে পরিণত করে সে দেশের নাগরিকেরা, কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ নয়, কোনো সরকারও নয়; তবে কাজটি কোনো একটি সরকারের হাত দিয়েই হয়। একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলো একটি প্রবাল দ্বীপের মতো। প্রবাল দ্বীপ যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত প্রবাল কীটের খোলক দিয়ে গড়ে ওঠে, একটি প্রজাতন্ত্রও সব নাগরিকের সমন্বয়ে গঠিত। সেই নাগরিকদের মধ্যে রয়েছে কৃষিজীবী, কারিগর, জেলে, কামার, কুমার, গৃহিণী, শিক্ষার্থী, সরকারি ও আধা সরকারি কর্মকর্তা ও অন্য সব পেশাজীবী। নাগরিকদের মধ্যে চোর, ছ্যাঁচড়, পকেটমারদের বাদ দেওয়ার উপায় নেই। রাষ্ট্র পরিচালিত হয় একটি সংবিধানে। অদৃশ্যভাবে রাষ্ট্র চালায় নাগরিকেরা, শুধু হালটা ধরে থাকে সরকার। রাষ্ট্র যেহেতু লাখেরাজ সম্পত্তি নয়, মোতোয়ালি সম্পত্তি নয়, কোনো সরকারের পৈতৃক সম্পত্তিও নয়—প্রতিটি নাগরিকের যৌথ সম্পত্তি, যেহেতু প্রতিটি নাগরিকের শান্তিপূর্ণভাবে চলাফেরার বিধান করা সরকারের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। নাগরিকদের সভা-সমাবেশ করে মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে রাষ্ট্র বাধ্য। রাষ্ট্রে সরকার নয়, নাগরিকেরাই সার্বভৌম।কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে এবং তার একটি শাসনতন্ত্র গৃহীত হয়ে গেলেই নাগরিকদের সব কাজ শেষ হয়ে গেল, তা নয়। জনগণের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক অধিকারকে সুরক্ষা দিতে গেলে রাষ্ট্রকে অব্যাহত সংস্কারের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। যেমন ঘরবাড়িকে মানুষ প্রতিনিয়ম ধোয়া-মোছা ও সংস্কার করে থাকে। রাষ্ট্রে রাজনৈতিক সংস্কারের ব্যাপারে সংঘবদ্ধ ও সচেতন নাগরিক সমাজের দায়িত্ব বিরাট। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা, সামাজিক সংগঠনের নেতা, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের নেতা এবং নির্দলীয় বিভিন্ন ব্যক্তির সম্মিলিত ভূমিকা ছাড়া রাষ্ট্রের রাজনৈতিক অবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়। সে জন্য সবার মতামত প্রকাশের পূর্ণ সুযোগ থাকতে হবে। গণতন্ত্রের দর্শনটাই হলো এই যে তা অন্যের মতামত বোঝার সুযোগ করে দেয়। বিভিন্ন পরস্পর বিপরীত ভাবনার মধ্যে আদান-প্রদানের সুযোগ থাকে, সমন্বয়ের সুযোগ থাকে এবং সবশেষে যা থাকে তা হলো সব প্রশ্নে নয়, কোনো কোনো ব্যাপারে আপসরফা। আপসরফা আর আত্মসমর্পণ করে পরাজয় বরণ এক কথা নয়। আপস-মীমাংসার মধ্যে কোনো রকম গ্লানি নেই, বরং মানুষের কল্যাণের স্বার্থে বেশি ছাড় দেওয়াতে গৌরবই আছে।গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও কখনো কখনো ছন্দপতন ঘটে। সেই রকমই একটি ছন্দপতনের ঘটনা ২০১৪-র ৫ জানুয়ারি ঘটেছে। সেই গণতান্ত্রিক ছন্দপতনের জন্য কারা কারা দায়ী, তা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে সমস্যার সমাধান হবে না। আর একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি রয়েছে। ওই দাবি তোলার অর্থ এই নয় যে সেই নির্বাচনটি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে হতে হবে। মোদ্দা কথা হলো, ওই রকম একটি নির্বাচন হতেই হবে, সে নির্বাচন এক-দেড় বছরের মধ্যে হতে পারে, ২০১৯-এ হতে পারে অথবা ১৫ বছর পরেও হতে পারে, যদিও তখন বর্তমানের রাজনৈতিক কুশীলবদের অনেকেই ভবধামে নাও থাকতে পারেন।সরকারবিরোধী বড় বড় সভা-সমাবেশ বিশ্বব্যাপী হচ্ছে। পশ্চিমের পাকা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও হচ্ছে। কমবেশি বিক্ষোভ-ভাঙচুরও হয়। বিশাল সভা-সমাবেশ করে, ভাঙচুর করে, কোনো সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব নয়। বরং সভা-সমাবেশে মত প্রকাশের অধিকার হরণ করলেই সরকারের পতন ত্বরান্বিত হয়। সরকার জনরোষে পড়ে। বিএনপির নেত্রী কালো পতাকা উড়িয়ে ৫ জানুয়ারি একটি জনসভা করতে চেয়েছিলেন। কালো পতাকা উড়িয়ে হোক বা নীল পতাকা উড়িয়ে হোক বা ফিরোজা রঙের পতাকা উড়িয়ে হোক, ওই রকম ১০-১৫টি সমাবেশ করলে সরকারের কোনো ক্ষতিই তিনি করতে পারতেন না। তাঁকে তাঁর অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখতে সরকারের বুদ্ধিদাতাতে যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা সরকারের একটুও উপকার করেননি। বিএনপির নেত্রীর লাভ-ক্ষতি যা-ই হোক, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলো।বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ডাকে এক আধখ্যাচড়া ধরনের অবরোধ চলছে। যারা দিন এনে দিন খায়, তাদের অনেকেই লিখতে-পড়তে জানে না, অঙ্ক কষতেও জানে না। অঙ্কে পাকা বড় বড় ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এফবিসিসিআই। তার নেতা ও পরিবহনমালিকেরা অঙ্ক কষে দেখিয়ে দিয়েছেন অবরোধে প্রতিদিন কত হাজার কোটি টাকা লোকসান। তাঁদের ‘পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে’ বলে তাঁরা হরতাল-অবরোধ বন্ধে ‘আইনি ব্যবস্থা’ নেওয়ার জন্য তাঁদের সভাপতিকে ‘ম্যান্ডেট’ দিয়েছেন। মনে হচ্ছে, তাঁরা অতীতে কোনো দিন এ দেশে হরতাল দেখেননি।কিছু কিছু রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান কোর্ট-কাছারিতে ঘুরে হয় না। অন্তত এ পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো কালে হয়নি। আমি ব্যবসায়ী নেতা হলে গুলশানে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বলতাম, বালু-সিমেন্ট-ইটের ট্রাক সরান এবং বাড়ির ফটকের তালাটা খুলুন। যিনি অবরোধের ডাক দিয়েছেন, তাঁকে গিয়ে আমরা বলব, আপনি অবরোধ তুলে নিন। সব শ্রেণির মানুষ যদি আত্মস্বার্থে পলিটিকসে জড়িয়ে পড়েন, তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়।বঙ্গীয় রাজনীতিতে নাটকীয়তা বহুদিন থেকেই আছে। পঞ্চাশের দশকে পশ্চিমে স্যামুয়েল বেকেট, জাঁ জেনে, আয়োনেস্কো প্রমুখ সূচনা করেন অ্যাবসার্ড থিয়েটারের। আমাদের রাজনীতিতে অ্যাবসার্ড থিয়েটারের সূচনা নব্বইয়ের দশকে। ২০১৩-র ডিসেম্বরে বিএনপির নেত্রীর ওপর বালুভর্তি ট্রাকতত্ত্বের সার্থক প্রয়োগ হয়। ওদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ওপর হাসপাতালতত্ত্ব। ওসব থেরাপি ভালো কাজ করেছে। এবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব জাপা চেয়ারম্যানের মতোই অলৌকিকভাবে হাসপাতালে নীত হন। উধাওও হন অলৌকিক উপায়ে। সেটা নাকি তাঁর ‘কৌশলগত’ ব্যাপার।আমাদের প্রচলিত ধারার রাজনীতিতে নেতা-নেত্রী ও তাদের ব্যক্তিগত সচিবদের চেতনার রঙে শুধু পান্নাকে সবুজ বা চুনীকে লাল দেখায় না: তারা পান্নাকে নীলা বা পদ্মরাগমণী বলে প্রচার করেন। চার দলীয় জোটের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ঢাকায় রয়টার্সের সংবাদদাতার ভুয়া ফোনালাপ নিয়ে কেলেঙ্কারি হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর হয় এক কথা, কর্মকর্তারা প্রচার করেন তাঁদের মনের কথা। পরে তাঁদের অফিস থেকে বক্তব্যের প্রতিবাদ করা হয়। এসব অ্যাবসার্ড নাটকীয়তা আমাদের নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতির উপাদান।শুধু পেপার স্প্রে নয়, এবার ট্রাকের সঙ্গে যোগ হয়েছে টেলিফোন। বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতা টেলিফোন করতেই পারেন (তাঁর গলা নকল করে অন্য কেউও ফোন করতে পারেন), গুলশান থেকে অবরুদ্ধ নেত্রীও ফোন করতে পারেন। কথাবার্তা চোখের মরিচের গুঁড়ো নিয়ে হতে পারে। পরিচালক রাজকুমার হিরানির মুন্নাভাই এমবিবিএস, থ্রি ইডিয়টস বা চলতি ছবি পিকে নিয়েও হতে পারে। তাতে দোষের কী? কিন্তু টেলিফোনও বাংলাদেশের রাজনীতির ঠেলায় ভিলেনে পরিণত হয়েছে। অ্যাবসার্ড নাটকে অ্যাবসার্ড টেলিফোন, যার কোনো সম্পর্ক নেই বাস্তবের সঙ্গে।চলমান নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতির যদি সঠিক চিকিৎসা না হয়, তাহলে অব্যবহিত পূর্ববর্তী প্রজন্মের মতো আগামী বহু প্রজন্ম রক্তার্জিত স্বাধীনতা থেকে কিছুই পাবে না।সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক৷ | 106,419 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৫৫ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:১০ | আইন ও বিচার | null | সিগমা হুদাকে দেওয়া দুদকের নোটিশের কার্যক্রম চলবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1086685 | সম্পদের তথ্যবিবরণী চেয়ে দুদকের দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সিগমা হুদার করা রিট আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদাকে দেওয়া দুদকের নোটিশ বৈধ বলে জানিয়েছেন দুদকের কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান।খুরশীদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, রিট খারিজের ফলে নোটিশের ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই।আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি সম্পদের তথ্যবিবরণী চেয়ে সিগমা হুদাকে নোটিশ দেয় দুদক। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সিগমা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল ও স্থগিতাদেশ দেন। এই রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত আজ তা খারিজ করে রায় দেন। | 295,883 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ১০:৫৯ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ১১:২২ | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,অপরাধ | null | ফেনসিডিলবাহী পাজেরো উল্টে নিহত ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/826684 | সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকায় ফেনসিডিলবাহী একটি পাজেরো উল্টে একজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম শফিবুল ইসলাম ওরফে কুদ্দুস। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রামেরডাঙ্গা গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নয়টি বস্তায় ২ হাজার ৯০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে একটি কালো পাজেরো জিপ সাতক্ষীরার মথুরাপুর মোড় ঘুরতে গিয়ে উল্টে যায়। এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ এসে গাড়ির ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে গাড়িটি থেকে নয় বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পাজেরো গাড়ি থেকে নয়টি বস্তায় ২ হাজার ৯০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। | 219,169 |
রাহীদ এজাজ ও একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৫, ০৩:৩৯ | ২৮ এপ্রিল ২০১৫, ০৩:৪১ | চট্টগ্রাম বিভাগ,সিটি নির্বাচন | null | চট্টগ্রামে ভোট উৎসব, শঙ্কাও আছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/514795 | কিছুটা চাপা আতঙ্ক থাকলেও উৎসাহেরও কমতি নেই। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরে ভোট উৎসব। ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন ভোটার নির্ধারণ করবেন কে হচ্ছেন নগরপিতা। বেছে নেবেন নগরের মেয়র ও কাউন্সিলরদের।মেয়র পদে প্রার্থী ১২ জন। তবে শেষ পর্যন্ত মূল লড়াই হবে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের (কমলালেবু) সঙ্গে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দিনের (হাতি মার্কা)।আগ্রহ আর শঙ্কার মিশ্র আবহে প্রায় পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ না নেওয়ায় এ নির্বাচন নিয়ে লোকজনের আগ্রহ রয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার, নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান ও নগরে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির অভিযোগ এনেছে নাছিরের প্রতিপক্ষ। কঠোর নিরাপত্তার কথা বারবার বলা হলেও ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে সব ভোটারের শঙ্কা দূর হয়নি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায়ও লালখানবাজার এলাকার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত দুজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে।নির্বাচনে ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২১৬ জন এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬২ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬০ বর্গমাইল আয়তনের চট্টগ্রাম নগরের ৭১৯টি ভোটকেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ৫৯৫টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছে।নির্বাচনে প্রধান দুই মেয়র পদপ্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে নাছির যেখানে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে বলছেন, মনজুর গুরুত্ব দিয়েছেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশের ওপর।ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গতকালও জোরালো আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন দামপাড়ায় গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে।’নিরাপত্তার বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল জলিল মণ্ডল গতকাল তাঁর দপ্তরে প্রথম আলোকে জানান, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাস্তায় র্যা ব, বিজিবি ও পুলিশের টহল থাকছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতও কাজ করবেন। এত নিরাপত্তার মধ্যে বহিরাগত লোকজন ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ঘেঁষার সাহস পাবে না। নগরবাসী নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন।কঠোর নিরাপত্তা: নির্বাচন উপলক্ষে নগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ২১ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কাজ করছেন ২৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ও বেআইনি কর্মকাণ্ড দমনে ১৩৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে থাকছেন।নগর পুলিশ সূত্র জানায়, নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৪ জন সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। তবে যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে পুলিশের সাতজন সদস্য, দাঙ্গা পুলিশের তিনজন, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য তিনজন, দুজন অস্ত্রধারী আনসার সদস্য এবং লাঠি হাতে আরও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া র্যা বের ৮২টি টহল দলে ৮২০ জন এবং বিজিবির ৬০টি টহল দলে ৬০০ জন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত থাকবেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাস, দামপাড়া ও হালিশহরে সেনাবাহিনীর এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাস্তায় নেমে আসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ৭১৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ব্যালট পেপার পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ৭১৯ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৯০৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ৯ হাজার ৮১২ জন পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নাকচ: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নগরে বহিরাগতদের ২৫ এপ্রিল রাত ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম ছাড়ার কথা। তবে মন্ত্রী, সাংসদ, সংসদীয় কমিটির সভাপতিসহ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা চট্টগ্রামে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও দলের যুগ্ম সম্পাদক দিপু মনি। নাম উদ্ধৃত না হয়ে নগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে দিপু মনির মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে তাঁর মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। আর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।পুলিশের তল্লাশি ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতির কারণে পোলিং এজেন্টরা শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক রাতে দলের নেতা-কর্মীদের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ইপিজেড এলাকার অনেক ভোটার চলে গেছেন। তাঁদের পক্ষে জাল ভোট দিতে তিন পার্বত্য জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক নারীকে গতকাল সন্ধ্যায় ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আনা হয়েছে।তবে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দল সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি মহল ভোটকেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের গুজব ছড়াচ্ছে। গুজবে কান দিয়ে নির্বিঘ্নে নগরবাসী কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন। ভোটকে উৎসবে পরিণত করুন।’ফেনীর একজন আওয়ামী লীগ নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে জানান, জেলার একজন সাংসদের অনুগত তিন থেকে চার হাজার যুবক চট্টগ্রামে রয়েছেন। ওই সাংসদও চট্টগ্রামের একটি হোটেলে অবস্থান করছেন।এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জনগণ যাঁকে পছন্দ করবে তিনি মেয়র হবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ফলাফল যাই হোক, আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বাড়বে। কিন্তু বহিরাগত লোকজনের উপস্থিতি কাম্য হতে পারে না।ক্যাম্প ভাঙচুর: ওয়াসা মোড়ে ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ভাঙচুর করা হয়েছে। দুই প্রার্থী হলেন আবুল হাশেম ও আবদুল হালিম। দুজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। খুলশী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী গত রাতে প্রথম আলোকে জানান, ক্যাম্প ভাঙচুরের জন্য প্রার্থীর সমর্থকেরা বর্তমান কাউন্সিলরের সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তবে এ ব্যাপারে রাত নয়টা পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে বর্তমান কাউন্সিলর ও এবারের নির্বাচনে প্রার্থী এ এফ কবির আহমদ মানিক হামলার সঙ্গে তাঁর সমর্থকদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দুবারের কাউন্সিলর। ক্যাম্প ভেঙে ভোট পাওয়া যায় না। আর আমি এ ধরনের সস্তা রাজনীতিও করি না। | 134,816 |
মাসুম রেজা | entertainment | বিনোদন | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:২৩ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:২৪ | মঞ্চ,আনন্দ | 0 | বাংলা নাট্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/772864 | নাটক শেষে দর্শক সারি থেকে উঠে আসা এক দর্শকের মন্তব্য দিয়ে শুরু করি। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে মাইক্রোফোনটা হাতে নিয়ে বললেন তিনি একজন লেখক, তাঁর কাছে নাটকটি এত ভালো লেগেছে যে, এর পরে এই নাটকের যতগুলো প্রদর্শনী হবে, তিনি সবগুলি প্রদর্শনী দেখতে আসবেন। তাঁর এই সরল অনুভূতি থেকে সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায় প্রাঙ্গণেমোরের আমি ও রবীন্দ্রনাথ নাটকটা দর্শককে কতটা আপ্লুত করেছে।১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ হলে নাটকটার দ্বিতীয় প্রদর্শনী হলো। নাটকটা দেখে আমি কেবল মুগ্ধই হইনি, উপরন্তু আশ্বস্ত হয়েছি এই কারণে যে নাটকটা আমাদের সাহিত্যমুখী করে তুলবে। একটু ব্যাখ্যা করে বলি; ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু জনপ্রিয় লেখকের কিছু জনপ্রিয় উপন্যাস পাঠ করে সাহিত্যপাঠের দায় সারছেন সমাজের একটা বড় অংশ। কিন্তু যে সাহিত্য মানবিক হতে শেখায়, ব্যক্তিমানস গঠন করে, তৈরি করে জাতীয় রুচি, শাণিত করে মেধা মনন ও বোধ, সেই সব সাহিত্যপাঠে আমাদের অনীহা। প্রাঙ্গণেমোরের আমি ও রবীন্দ্রনাথ আমাদের টেনে নিয়ে যায় সেই দিকে, যেদিকে রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশাল ভান্ডারের ঠিকানা। আমাদের মনে ও মননে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সাগরে ডুব দেওয়ার নেশা ধরায়। এই কৃতিত্বের সিংহভাগ যার প্রাপ্য, তিনি নূনা আফরোজ। তিনটি কারণে আমার কাছ থেকে তাঁর অভিনন্দন প্রাপ্য; প্রথমটি তাঁর রচনার জন্য, দ্বিতীয়ত তিনি এর নির্দেশক আর তৃতীয়ত তিনি এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন।নূনা আফরোজের ভাষ্যে আমি ও রবীন্দ্রনাথ–এর গল্পটা একটু জেনে নিই; অথৈ একদিন তার বন্ধুর সঙ্গে শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বেড়াতে যায়। অথৈ একাই দোতলার সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যায়। হঠাৎ অথৈয়ের সামনে এসে হাজির হন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি অথৈকে কুঠিবাড়ি ঘুরিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানান। এই ঘুরিয়ে দেখানোর নানান স্তরে অথৈয়ের সামনে পরপর হাজির হন ২৯, ৬৯, ২১ ও ৮০ বছর বয়সের রবীন্দ্রনাথ। এই চার বয়সের রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে অথৈয়ের কথা হয় সেই সময়ের রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিজীবন আর তাঁর সৃজনশীলতা নিয়ে। রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি বয়সের সঙ্গে অথৈও বদলে যেতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র ও বয়সে।রবীন্দ্রনাথের এই চারটি বয়স নির্বাচনের যে তাৎপর্য, তাও খুব নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করেছেন নূনা আফরোজ। ২১ বছরের রবীন্দ্রনাথকে পেয়ে অথৈ হয়ে গেছে বিসর্জন–এর অপর্ণা আর রবীন্দ্রনাথকে বানিয়েছেন তার জয়সিংহ। ৬৯–এর রবীন্দ্রনাথকে অথৈ হিংসে করেছে আর্জেন্টাইন ভিক্টরিয়া ওকাম্পোর প্রতি তার বিশেষ নমনীয়তার কারণে। এসেছে ন’হন্যেতের কথা, কাদম্বরী দেবীও এসেছেন আলাপচারিতায়। ২৯–এর রবীন্দ্রনাথের পুরোটা জুড়েই ছিলেন কাদম্বরী দেবী। আর মৃত্যুর অব্যবহিত আগের অশীতিপর রবীন্দ্রনাথের মুখে ‘মরণরে তুঁহি মম শ্যাম সমান’ যে এক অমোঘ বাণীর মতো কানে বেজেছে।নানা বয়সের রবীন্দ্রনাথের জীবন ও লেখার নানা অংশ তুলে ধরে নূনা আফরোজ ভীষণ দক্ষতার সঙ্গে সমগ্র রবীন্দ্রনাথের একটা ছবি এঁকেছেন আমাদের সামনে। রবীন্দ্রনাথকে আরও ভালোভাবে চেনার আগ্রহ জন্মিয়েছেন তিনি আমাদের মনে। চার বয়সের রবীন্দ্রনাথের রূপসজ্জা অত্যন্ত সুচারুরূপে করেছেন খলিলুর রহমান এবং জনি সেন। অনন্ত হিরার অভিনয়ের আমি একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত, ৬৯–এর রবীন্দ্রনাথকে তিনি যথার্থভাবে তুলে এনেছেন তার অবয়বে, অভিব্যক্তিতে। সফল অভিনয় করেছেন আউয়াল রেজা অশীতিপর রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায়। অনেক দিন পরে আউয়ালকে মঞ্চে দেখলাম এবং মুগ্ধ হলাম। সদ্য কৈশোর পেরোনো রবীন্দ্রনাথের ভূমিকাটা নিয়েছিলেন রামিজ রাজু। রামিজ রাজুর অভিনয়ের একটা প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতা আছে। সে ক্ষমতাকে তিনি পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে কাদম্বরী দেবীর সঙ্গে অলিখিত প্রণয়ের খেলা খেলেছেন অনায়াসে। নাটকের জন্য তৈরি মঞ্চসজ্জা যেন একেবারেই মানানসই নয় বলে মনে হয়েছে। কুঠিবাড়ির কোনো তাৎপর্যপূর্ণ স্মারক থাকতে পারতো আর ছবির ফ্রেমগুলো হতে পারতো আরও রাজকীয়। বাংলা নাট্যে এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ নাটক সংযোজনের জন্য প্রাঙ্গণেমোরকে আমার অভিনন্দন। | 202,940 |
নওগাঁ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৫১ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৫২ | বিশাল বাংলা | 0 | মতবিনিময় সভা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/749683 | সীমান্তে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নওগাঁর সাপাহারে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার আদালতা বিজিবি ক্যাম্পে ‘সীমান্তে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এ সভা হয়। সভায় বিজিবি-১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিজিবির রাজশাহী অঞ্চলের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাকির হোসেন, বিজিবি-১৪ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর ইকবাল আকতার, ইউএনও ইফতেখার উদ্দীন শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গত শনিবার ভোরে আদাতলা সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হন। | 195,415 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:৫২ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৫৪ | -1 | null | ক্রিসমাস ট্রিতে এ কী দেখলেন নারী! | http://www.prothom-alo.com/international/article/1042617 | বাড়িতে বসে রংবেরঙের জরি আর বল দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজাচ্ছিলেন এক নারী। হঠাৎ চোখে পড়ল, গাছের পাতা জড়িয়ে নিশ্চিন্তে চুপচাপ বসে আছে একটি সাপ। ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল। একটু পরেই তিনি চিৎকার শুরু করেন।অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়া এলাকার একটি বাড়িতে গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।বিবিসির খবরে জানা যায়, কিছুক্ষণ চেঁচামেচির পর মাথা ঠান্ডা হয় ওই নারীর। পা টিপে টিপে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তোয়ালে দিয়ে বাইরের দরজার ফাঁকটুকু বন্ধ করে দেন। এরপর ফোন করেন সাপুড়ে বেরি গোল্ডস্মিথকে।কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসেন গোল্ডস্মিথ। জানান, সাপটি অস্ট্রেলিয়ার উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা। টাইগার নামে এই সাপ লম্বায় এক মিটার। খুবই বিষধর।গোল্ডস্মিথের ধারণা, সাপটি সম্ভবত খোলা জানালা দিয়ে ঢুকে পড়ে। এরপর ক্রিসমাস ট্রিতে আশ্রয় নেয়।গোল্ডস্মিথ আরও বলেন, সাপটি দেখার পর ওই নারী যথেষ্ট শান্ত ছিলেন। এ কারণেই সাপটি ধরে বনে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।অদ্ভুত অদ্ভুত জায়গা থেকে সাপ খুঁজে পাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে গোল্ডস্মিথের। তিনি জুতোর ভেতর, কাপড় ধোয়ার মেশিন, কুকুরের ঘর, বিড়ালের বাক্স, শৌচাগার, রান্নাঘরের বাক্স, এমনকি বইয়ের তাক থেকেও সাপ ধরেছেন। | 275,404 |
সামছুর রহমান | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ এপ্রিল ২০১৬, ০২:১৩ | ০৩ এপ্রিল ২০১৬, ০২:১৪ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | null | বাউনিয়া খাল দখল করে ঘর, পানিপ্রবাহ বন্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/818326 | মিরপুর ১৪ নম্বরের বাউনিয়া খালের ভেতর বাঁশের খুঁটি পুঁতে অবৈধ ঘর তুলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন। এতে খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে ময়লা-আবর্জনার পুরু স্তর পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খালের পাশে গড়ে ওঠা বাগানবাড়ি বস্তির ঘরগুলো ময়লা পানিতে ডুবে যায়।মিরপুর ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে বাউনিয়া খালটি মার্ক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাশে সিএনজি স্টেশন লাগোয়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি বাগানবাড়ি খাল নামেও পরিচিত। গতকাল শনিবার দেখা যায়, খালের এক মাথায় বাঁশ, টিন দিয়ে অর্ধশতাধিক ঘর তোলা হয়েছে। এসব ঘর বানাতে খালের কয়েক শ বাঁশ পুঁতে বাঁধের মতো করে পানিপ্রবাহ আটকে দেওয়া হয়েছে।খালের মধ্যে প্লাস্টিক বোতল, টিন, পলিথিনসহ বিভিন্ন বর্জ্য জমে আছে। এত পুরু ময়লা-আবর্জনা জমেছে যে, এটিকে আর খাল বলে মনে হয় না। এক পাল মুরগি এসব ময়লার ওপর চরে বেড়াতে দেখা যায়।খালের পাশের খালি জায়গায় গড়ে উঠেছে বাগানবাড়ি বস্তি। খালে পানিপ্রবাহ না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই পানি বস্তির ঘরগুলোতে ঢুকে যায়। বস্তির বাসিন্দা আবদুল হালিম, আল-আমিন ও মো. সেলিম বলেন, খালের শেষ মাথায় মো. জাহাঙ্গীর নামের স্থানীয় এক নেতা ঘর তোলেন। তারপর থেকে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই খালে ময়লা জমতে থাকে। আগে এসব ময়লা জমত না। সিটি করপোরেশনের লোকজন আসেনও না।এ বিষয়ে মো. জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কিছু ঘর খালের ওপর আছে, এটা ঠিক। কিন্তু আরও অনেকের ঘরই খালের ওপর আছে। আমি যেকোনো সময় ঘরগুলো ভেঙে দিতে প্রস্তুত। সবাই যদি একবারে ঘর ভেঙে খাল পরিষ্কার করে, তবে আমার আপত্তি নাই।’কাফরুল, কচুক্ষেত, ভাষানটেক, ইব্রাহিমপুর ও মিরপুর এলাকার নালার পানি এই খাল দিয়ে নামে। খালে পানি প্রবাহিত হতে না পারায় সব ময়লা এসে বাগানবাড়ি বস্তির সামনের অংশে জমছে। এই ময়লা-আবর্জনা এবং অপরিচ্ছন্ন পানির কারণে মশার প্রজননক্ষেত্র হয়ে পড়েছে খালটি।বস্তির বাসিন্দা সালেকা বেগম বলেন, ‘ভোটের আগে আইস্যা মিষ্টি মিষ্টি কথা বইল্যা ভোট নয়া যায়। এখন ময়লায় থাকি, ঘুমাই দেখার কেউ নাই। মশার গোডাউন এই ময়লা খালে। যেদিন বৃষ্টি হয়, ঘরে কোমর সমান পানি হয়।’বাগানবাড়ি বস্তিতে ভোটার আছেন প্রায় দুই হাজার। মোট বাসিন্দার সংখ্যা কমবেশি আট হাজার। বস্তির কোনো কোনো বাসিন্দা প্রায় এক দশক ধরে এখানে বসবাস করছেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের আগে কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে এই বস্তিবাসীর দুঃখ খালটি পরিষ্কার করে দেবেন। নির্বাচনের হয়েছে এক বছর হতে চলল। কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এ বিষয়ে ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, খালটির পানিপ্রবাহ ঠিক থাকলে মিরপুর এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই কমবে। কিছু লোক অবৈধভাবে খালে ঘর তুলছে। মেয়র আনিসুল হক নিজে এসে খালের অবস্থা দেখে গেছেন। ওয়াসার পরিচালক, প্রকৌশলীরা এসে দেখে গেছেন। তবে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। | 216,625 |
-1 | opinion | মতামত | ১৮ জুন ২০১৯, ১১:০২ | ১৮ জুন ২০১৯, ১১:০২ | সম্পাদকীয়: | null | পাট চাষে আগ্রহ কমছে | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1599758 | দেশের পাট চাষের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের সূচকরেখা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। দীর্ঘ সময়কালের পটভূমি বিবেচনায় নিলে এর আদল অনেকটা পুঁজিবাজারের সূচকরেখার মতোই বঙ্কিম, চড়াই-উতরাইয়ে ভরা।একদা অভিজাত গৃহস্থের বাগানের শোভাবর্ধনকারী অতিথি হয়ে দূরদেশ থেকে এই দেশে পাটগাছ এসেছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে সেই গাছই মহার্ঘ অর্থকরী ফসল হয়ে ওঠে। এর আবাদের সূচক তখন খাড়াখাড়িভাবে উঠে যায়। তার ডাকনাম হয়ে যায় ‘সোনালি আঁশ’। কিন্তু সস্তা কৃত্রিম তন্তু আবিষ্কারের পর সেই সূচকে পতন নামে। সোনালি আঁশের রমরমা দিন শেষ হয়ে যায়। স্বাধীনতা–উত্তরকালে কৃষকেরা পাট চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।সম্প্রতি সারা বিশ্বের মানুষ অপচনশীল কৃত্রিম তন্তুর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন হওয়ায় পাটের কদর বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সরকারি পর্যায়েও প্রণোদনামূলক নানান কর্মসূচি চালু হয়েছে। এ বছর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জন্য গত বছরের চেয়ে ৬২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে একে বিলুপ্ত করে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জেডিপিসির মাধ্যমে এরই মধ্যে অনেক বেসরকারি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। এসব উদ্যোক্তা প্রায় ২৮০ ধরনের পাটের পণ্য তৈরি, বাজারজাত ও রপ্তানি করছেন। সম্প্রতি পাট থেকে জুট পলিমার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এটা দিয়ে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প ‘সোনালি ব্যাগ’ তৈরি করা হচ্ছে। উদ্যোগগুলোয় পাটশিল্পে আশা তৈরি হয়েছে।এসব কারণে পাট আবাদের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, উৎপাদন খরচ তুলতে না পারায় চাষিরা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। যশোর অঞ্চলের ছয় জেলায় এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এসব জেলায় এ বছর ১ লাখ ৬১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সেখানে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।সরকারের নীতিনির্ধারক মহল থেকে এত উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এই মুহূর্তে পাট চাষে কোনো ধরনের ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না। বিনা মূল্যে চাষিদের মধ্যে সার-বীজ দেওয়ার মতো সরকারি সুযোগ-সুবিধাও নেই।এ অবস্থায় পাট চাষের সূচকরেখা আবার ঊর্ধ্বমুখী করতে কাঁচা পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ও পাটজাত সামগ্রীর রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের প্রয়াস চালাতে হবে। যথার্থ দাম পেলে চাষিরা আবার উৎসাহিত হবেন। সোনালি আঁশ তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। | 406,513 |
নাজমুল হুদা | life-style | জীবনযাপন | ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৩৭ | ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪০ | চাকরিবাকরি,পেশা | 0 | নতুন বছরের নতুন পরিকল্পনা | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/413449 | চলে এল আরও একটি নতুন বছর। সঠিক পরিকল্পনা কিংবা যথার্থ প্রস্তুতির অভাবে অনেকেই হয়তো বিগত বছরে মনের মতো পেশায় যোগ দিতে পারেননি। কারও আবার একটা চাকরির খোঁজ মিললেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সম্পূর্ণরূপে। নিজের বর্তমান পেশায় অপ্রাপ্তি বা অতৃপ্তির কারণে ভাবনায় আসতে পারে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা। নতুন কোনো চাকরি বা পেশা বদলের পরিকল্পনা থাকলে বছরের শুরু থেকেই সক্রিয় হতে হবে।নিজেকে প্রশ্ন করুন, কোন পথে যাবেনযেকোনো কার্যসিদ্ধির জন্য আগে দরকার কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া। মুহূর্তের ভুল সিদ্ধান্ত পেশাগত জীবনে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করতে পারে। আবেগতাড়িত বা অস্থির না হয়ে সুস্থিরভাবে ভেবে ঠিক করুন নতুন বছরের গতিপথ। পরামর্শ নিতে পারেন অভিজ্ঞজনের। পারিবারিক বা পারিপার্শ্বিক প্রত্যাশার চাপ তো থাকবেই। তবে নিজের ইচ্ছেটাকেই প্রাধান্য দিতে হবে সবার আগে। নিজের অন্তর্নিহিত সামর্থ্যকে জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি চিহ্নিত করুন নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকে। এরপর সাজিয়ে ফেলুন সারা বছরের পরিকল্পনা। বছরের শুরুতেই একটি ভালো পরিকল্পনা আপনাকে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে প্রতিযোগিতার দৌড়ে।এখনই, এখান থেকেইসাতপাঁচ ভাবলে পিছিয়ে পড়তে হয়। তাই সময় ক্ষেপণ না করে পরিকল্পনা অনুযায়ী বছরের শুরু থেকেই কাজ শুরু করে দিন। এখনই উপযুক্ত সময়। হাতছাড়া হয়ে গেলে হা-হুতাশ থাকবে পুরো বছর। আপনি যদি কোনো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সংস্থা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারি চাকরি পেতে চান, প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখনই। আপনার লক্ষ্য যা-ই হোক না কেন, বছরের শুরুটাকেই কাজে লাগান। প্রয়োজনীয় তথ্য হালনাগাদ করে নতুনভাবে সাজান জীবনবৃত্তান্ত। আপনি যদি অন্য কোনো চাকরিতে কর্মরত থাকেন সেখান থেকেই দৃঢ় দৃষ্টি রাখুন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে।ঝোঁকের বশে ঝঁুকি নয়বর্তমান চাকরিতে প্রতিকূল কর্মপরিবেশ, প্রত্যাশার তুলনায় অপ্রতুল বেতন-ভাতা, বসের সঙ্গে বনিবনার অভাবসহ নানা কারণে আপনি পেশা বা কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের ঝঁুকি নিতে পারেন। তবে নতুন কোনো পেশায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক ও সংযমী হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ঝোঁকের বশে ঝুঁকি নেওয়ার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হতে পারে। পেশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় আছে কি না ভেবে দেখুন। অফিসের ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিন। কর্মপরিকল্পনা করে ও বাস্তবায়নের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে সাফল্যের শীের্ষ।‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে’যোগাযোগজালে যুক্ত রাখুন নিজেকে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ান। পেশাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পত্রিকার পাতায় নিয়মিত চোখ রাখলে উপকার আসে। ফেসবুক, লিংকড ইনসহ নানা মাধ্যমকে ব্যবহার করতে পারেন। নিজে থেকেই নিজের জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে রাখতে পারেন জব পোর্টালগুলোতে। এগুলোতে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা জানা যায়। এ ছাড়া অভিন্ন লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে ফেসবুকভিত্তিক নানা গ্রুপ। এসব গ্রুপে যুক্ত থাকলে বিভিন্নজনের মতামত, আলোচনা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। যেকোনো পেশা নিয়ে ধারণা স্পষ্ট হয়। নিজের প্রস্তুতিও শাণিত করা যায়। বছরের শুরু থেকেই যোগাযোগের সব মাধ্যমে সরব থাকার জন্যও পরিকল্পিতভাবে অগ্রসর হোন। যেমন নিয়মিত মেইল চেক করা, ফেসবুকে উঁকি দেওয়া, জবসাইটগুলোতে চোখ বোলানো, মাসে অন্তত একবার পরিচিত পেশাজীবীদের সঙ্গে কথা বলা। দেখবেন অচিরেই নিজের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে গেছে। আপনার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক, সুদৃঢ় অবস্থান সহজেই পৌঁছে দেবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে; সাফল্যের শীর্ষে। লেখক: সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক | 103,586 |
প্রতিনিধি, সৈয়দপুর, নীলফামারী | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১০:২০ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৮ | নীলফামারী,সৈয়দপুর,রংপুর বিভাগ,বাজারদর,কেনাকাটা | 0 | মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1584957 | সৈয়দপুরের মিস্ত্রিপাড়ায় বাস করেন রিকশাচালক আসলাম। তাঁর বাসায় কয়েকজন আত্মীয় এসেছেন ঈশ্বরদী থেকে। তাঁদের জন্য বাজারে মুরগি কিনতে বাজারে গিয়ে বিপাকে পড়েন আসলাম। মুরগির দাম যে তাঁর নাগালের বাইরে।এ অবস্থা শুধু আসলামের নন, সৈয়দপুর শহরের সব নিম্ন ও মাঝারি আয়ের মানুষের। নীলফামারীর এ উপজেলা শহরে মুরগির দাম গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এ সময়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা, সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। এক দিন বয়সী ব্রয়লারের বাচ্চার দাম বেড়েছে প্রায় ৭০ টাকা।গতকাল শনিবার সরেজমিনে সৈয়দপুরের বড় রেলবাজার, গেট বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে। আগে এ দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকা দরে, যা আগে ছিল ২১৫ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। লেয়ার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা কর বিক্রি হচ্ছে। এর আগের দর ছিল ১৮০ টাকা। আর টার্কি বিক্রি হচ্ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে, এর কেজি ছিল ২২০ টাকা।বড় রেলবাজারের ব্রয়লার মুরগির পাইকারি বিক্রেতা কাজী মতিয়ার রহমান বলেন, মূলত উৎপাদন ও আমদানি কম বলে মুরগির দাম বেড়েছে। তা ছাড়া প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দাম একটু চড়া থাকে। স্কুলে পিকনিক, বিয়েশাদি এই কয়েক মাসে বেশি হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় যদি একটি এক দিন বয়সী বাচ্চা কিনতে হয়, সেই বাচ্চাকে এক মাসের বেশি সময় লালন-পালন করে বিক্রি করলে যে দাম পাওয়া যায়, তাতে খামারিদের খুব বেশি লাভ হয় না। কিন্তু ভোক্তার পকেট থেকে ঠিকই অতিরিক্ত অর্থ বেরিয়ে যাচ্ছে।একই বাজারের সোনালি মুরগির পাইকারি বিক্রেতা শমসের বলেন, সৈয়দপুরের বেশির ভাগ মুরগি জয়পুরহাট থেকে আমদানি হয়ে থাকে। জানুয়ারি মাস থেকে জয়পুরহাট থেকে ঢাকার ব্যবসায়ীরা প্রচুর মুরগি আমদানি করছেন। ফলে উত্তরবঙ্গে আমদানি কমে গেছে। এ কারণে মুরগির দামও বেড়ে গেছে এদিকে। এপ্রিল পর্যন্ত দাম কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। কথা হয় বাজারের খুচরা বিক্রেতা সেলিম, শাকিল, শামিম, সোহরাব ও বাদশার সঙ্গে। তাঁরা জানান, এখানে কেউ ইচ্ছা করে দাম বাড়াননি। উৎপাদন কম ও দক্ষিণ দিকে প্রচুর আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এদিকে দাম বেড়েছে। তাঁরা কেবল ৫ থেকে ১০ টাকা লাভে মুরগি বিক্রি করে থাকেন। | 395,067 |
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২০:০৯ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২০:১১ | রাজনীতি | null | কুমিল্লার ঘটনায় খালেদাকে গ্রেপ্তারের দাবি নৌমন্ত্রীর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/442057 | নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আন্দোলনের কথা বলে গাড়িতে পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ হত্যা করছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারাই কুমিল্লায় পেট্রলবোমা ছুড়ে সাতজনকে হত্যা করেছে। তাই অবিলম্বে এ হত্যার দায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে হবে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন শাজাহান খান। হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং পেট্রলবোমায় মানুষ হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে ‘শ্রমিক-কর্মচারী পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ’।সমাবেশে খালেদা জিয়াকে ‘গণহত্যার নায়িকা’ আখ্যায়িত করে শাজাহান খান বলেন, ‘খালেদাকে গ্রেপ্তার না করলে দেশ ও মানুষের স্বাধীনতা রক্ষা করা যাবে না। তাই গণহত্যার নায়িকা খালেদাকে গ্রেপ্তার করে তাঁর “বিষদাঁত” ভেঙে দিতে হবে।’নৌমন্ত্রী আরও বলেন, দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে আগামী বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটা থেকে একটা পর্যন্ত সড়কে নীরবে দাঁড়িয়ে সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। এই কনভেনশনে দেশে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখতে কর্মসূচি দেওয়া হবে। এসব কর্মসূচিতে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান শাজাহান খান।সমাবেশে শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জি এইচ মোর্শেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সালাহউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব বদরুদ্দোজা প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। | 112,068 |
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:১৪ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:৩৩ | অপরাধ,মঠবাড়িয়া,বরিশাল বিভাগ,পিরোজপুর | 0 | নদীতে নিখোঁজের চার দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/727105 | পিরোজপুরের নেছারাবাদে সন্ধ্যা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজের চার দিন পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গৌতম চন্দ্র সাহার (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার উপজেলার পৌর এলাকার জগৎপট্টিতে নিখোঁজ হন তিনি। গৌতমের বাড়িও জগৎপট্টি গ্রামে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে গৌতম গোসল করতে নামেন সন্ধ্যা নদীতে। পানিতে ডুব দেওয়ার পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পর স্থানীয় লোকজন ও বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নিলেও গৌতমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় লোকজন আজ দুপুরের দিকে নদীতে গৌতমের লাশ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে আড়াইটার দিকে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলামের ভাষ্য, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কথা। | 187,992 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:২১ | ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ২১:০৩ | সংসদ | null | মেডিকেল শিক্ষা নিয়ে ‘কম্প্রোমাইজ’ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1414216 | স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মেডিকেল শিক্ষার ব্যাপারে সরকার কোনো ‘কম্প্রোমাইজ’ করবে না। কিন্তু মান রক্ষা না করায় মন্ত্রণালয় যেসব মেডিকেল কলেজে ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছিল, সে রকম চারটি কলেজকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরুর পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ পঞ্চানন বিশ্বাস জানতে চান, কয়েকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সরকারের নির্দেশনা না মেনে নিজেদের মতো ভর্তির ব্যবস্থা করছে, তারা কি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে এটা করছে, নাকি অন্য কোনোভাবে এই ভর্তির ব্যবস্থা করছে।জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি মেডিকেল কলেজের কোনো একাডেমিক ভবন নেই। লাইব্রেরি নেই। শিক্ষক নেই। হাসপাতালে রোগী থাকে না। এ ধরনের কয়েকটি মেডিকেল কলেজকে মন্ত্রণালয় গত দুই বছর ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু কয়েকটি মেডিকেল কলেজ আদালতে গেছে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আদালতকে আমরা সম্মান করি। তারা (আদালত) বলেন শিক্ষার মান রাখতে হবে। তারা নোটিশ দেন। কয়েকটি মেডিকেল কলেজকে জরিমানাও করেছেন। আবার কয়েক দিন আগে তারাই (আদালত) পর পর চারটি মেডিকেল কলেজকে ভর্তির অনুমতি দিয়েছেন। এই কলেজগুলোর অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। আমাকে নোটিশ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমাদের নোটিশের বাইরে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারা মান রক্ষা করেনি।’এ সময় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মেডিকেল কলেজের ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এই ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব মেডিকেল কলেজ বড় বড় আইনজীবী ধরেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সংসদেও আছেন। আদালতে গিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে মানহীন কলেজকে ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএমডিসি প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনবিহীন এই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থের বিনিময়ে অনুমোদন নিয়েছে। তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করে অনুমোদন দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয় তাদের অনুমোদন দেবে না। | 352,164 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:২৮ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:২৮ | রাজনীতি,রাজধানী (জাতীয়) | null | খালেদা জিয়া সংলাপের দরজা বন্ধ করেছেন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/435349 | বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কার্যালয়ের দরজায় তালা মেরে সংলাপের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের নেতারা। গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে তাঁরা এ কথা বলেন।সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, খালেদা জিয়া গেটে তালা মেরে সংলাপের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন। যারা সামান্যতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার জানে না, তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম পুত্রশোকে তিনি নোংরা রাজনীতি থেকে সরে আসবেন। কিন্তু না, তিনি অবরোধ-হরতাল চালিয়ে যাচ্ছেন।’মেনন বলেন, নির্বাচন হবে সাংবিধানিকভাবে। অবরোধ-হরতাল, পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতার পরিবর্তন করা যাবে না।জাসদের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘যাঁরা সংলাপের কথা বলেন, তাঁদের আমি বলব, আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপ করুন। তাঁকে (খালেদা জিয়া) মানুষ পোড়ানো বন্ধ করতে বলুন।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথে থাকলে অবশ্যই আলোচনা হতে পারে। কিন্তু মানুষ পোড়ানো খুনির সঙ্গে আমি আলোচনায় বসতে পারি না। তাদের সঙ্গে কোনো আপস হতে পারে না।’বিএনপি জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর মাত্র কদিন পরই এসএসসি পরীক্ষা। আপনাদের এই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি বন্ধ করুন।’ তিনি জানান, পরীক্ষা সময়মতো হবে। সরকার পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেবে।জাসদের ঢাকা মহানগর কমিটির সমন্বয়ক মীর হোসেন আকতারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন প্রমুখ |‘মানহানির মামলা হবে’: আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ২০০৪ সালের ৪ জুন তৎকালীন শেরাটন হোটেলের কাছে বিআরটিসির দোতলা বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যুবলীগকে দায়ী করে কেউ বক্তব্য দিলে মানহানির মামলা করা হবে।ওই ঘটনার সময় এই দুজন যথাক্রমে যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘যাঁরা এ ধরনের কথা বলছেন তাঁদের সতর্ক করতে চাই। যাঁরা টক শো করেন বা টক শো সঞ্চালনা করেন, তাঁদের কাছেও আমাদের প্রমাণিত নথিপত্র পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। তারপর যদি কেউ এই মীমাংসিত বিষয় নিয়ে এই ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে কথা বলেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থায় যাব।’সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বদিউজ্জামান ভুঁইয়া, ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামাল প্রমুখ। | 110,276 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৯ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:০০ | রাজনীতি | null | স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন খালেদা জিয়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1069133 | নির্বাচন কমিশন গঠন ও সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ রোববার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার মোট ৩১টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঁচটি করে নাম চায় অনুসন্ধান কমিটি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য মতবিনিময় করতে ১২ বিশিষ্ট নাগরিককেও ডেকেছে ওই কমিটি। আগামী সোমবার বিকেল চারটায় তাঁরা অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।২৫ জানুয়ারি নতুন ইসি গঠন করতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। গঠিত হওয়ার দিন থেকে ১০ কার্যদিবস, অর্থাৎ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুসন্ধান কমিটিকে ইসির জন্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে হবে। | 288,221 |
সুজন ঘোষ, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪৮ | ২২ আগস্ট ২০১৩, ০২:৫০ | চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা | 0 | চট্টগ্রামের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই সড়কের দুরবস্থা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/41125 | পুরো সড়কই কাদায় মাখামাখি। মাঝে মাঝে ছোট-বড় গর্ত। দীর্ঘদিন ধরে সেগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই চিত্র চট্টগ্রাম নগরের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বলে খ্যাত পাইকারি বাজার চাক্তাইয়ের মূল সড়কের। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাক্তাইয়ের এক হাজার ২৫০টি পাইকারি দোকান থেকে পণ্য সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন চট্টগ্রামের উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলার ক্রেতা ব্যবসায়ীরা। সড়কের দুরবস্থার কারণে চাক্তাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে জানান তাঁরা। এই অবস্থার জন্য সিটি করপোরেশনের অবহেলাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, চাক্তাই বাজারে চালের চার শ পাইকারি দোকান রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের অন্তত ১০টি শাখা রয়েছে। এ ছাড়া তিনটি বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে। এখানে প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ বাস করে।চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম বলেন, ‘চাক্তাইয়ে দৈনন্দিন ২৫-৩০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পণ্য ক্রয়ে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীদের আগমন অনেক কমে গেছে। এই বর্ষা মৌসুমেই লেনদেন ২৫-৩০ শতাংশ কমেছে।’ এ ছাড়া সড়কের কারণে পরিবহনচালকেরা প্রতি গাড়িতে এক হাজার থেকে বার শ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করছেন বলে জানা গেছে।স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চাক্তাই শাখার ব্যবস্থাপক মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘আগের মতো ভালো গ্রাহক পাচ্ছি না। ব্যাংকিং কার্যক্রমেও ভাটা পড়েছে।’সরেজমিনে দেখা গেছে, চামড়ার গুদাম এলাকা থেকে শুরু হয়ে রাজাখালী সড়কে শেষ হওয়া দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কের প্রায় সব জায়গায় ছোট-বড় গর্ত রয়েছে।চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মো. জামাল হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন গত চার বছরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কোনো ধরনের সংস্কার করেনি। দুই বছর আগে সড়কের তুলনায় উঁচু করে নালা নির্মাণ করার ফলে রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এতে ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।চাক্তাইয়ের প্রবীণ ব্যবসায়ী আহমদ হাজি বলেন, রাস্তায় জমে থাকা কাদার দুর্গন্ধের কারণে দোকানে বসে থাকা যায় না।আরেক ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের চেয়ে গ্রামের সড়কগুলো অনেক ভালো আছে।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. এয়াকুব নবী বলেন, ‘চাক্তাইয়ের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর দুরবস্থার ব্যাপারে আমরা অবগত। বর্ষা শেষ হওয়ার পরপরই সড়কগুলোর সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।’ | 10,972 |
চাকরিবাকরি প্রতিবেদক | life-style | জীবনযাপন | ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১২:২৫ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৪৯ | ব্যাংক,পেশা,চাকরির খবর | 0 | বেসরকারি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1367496 | একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি ব্যাংক ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার পদে জনবল নিয়োগ করবে। ওই পদে ব্যাংকটিতে যাঁরা সদ্য স্নাতক পাস করেছেন, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীকে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন হতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। বয়স হতে হবে অনূর্ধ্ব ত্রিশ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তদের ঢাকার বাইরে দেশের যেকোনো শাখা অফিসে কাজ করতে হবে। সফলভাবে ট্রেইনি পর্যায় উত্তীর্ণদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হবে।সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক আবেদন প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকটির সহযোগী হিসেবে কাজ করছে চাকরি ডট কম। আগামী ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত www.chakri.com ভিজিট করে পদটির জন্য আবেদন করতে পারেন। | 344,955 |
বগুড়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০৬ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০৭ | বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | বগুড়ায় হত্যার দায়ে ছয়জনের যাবজ্জীবন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1030645 | বগুড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মিনহাজুল আবেদীন ওরফে ফাইটকে (৩০) হত্যার দায়ে ছয় ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডিত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ আ ম মো. সাঈদ এ রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডিত ছয় ব্যক্তি হলেন সিরাজগঞ্জ সদরের ধোপাপাড়া চণ্ডীদাশগাতির ইউসুফ আলী ওরফে ছোট ইউসুফ (২৩) ও সেলিম হোসেন (২৬), একই উপজেলার সরাই চণ্ডীপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৪) ও কামরুল ইসলাম (২৯) এবং সরাইচণ্ডী খন্দকারপাড়ার মাসুম হোসেন (৩৩) ও ইউসুফ আলী ওরফে বড় ইউসুফ (২৭)।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই রাতে বগুড়ার সাতমাথায় অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন বগুড়া শহরতলির বড় কুমিড়া গ্রামের মিনহাজুল আবেদীন। এ সময় সিরাজগঞ্জ যাওয়ার কথা বলে আসামিরা অটোরিকশাটি ভাড়া করেন। এরপর চালকের দুই পাশে দুজন এবং পেছনে চারজন ওঠেন। অটোরিকশাটি বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর মসজিদপাড়া এলাকায় যাওয়ার পর আসামিরা পেছন থেকে গামছার ফাঁস দিয়ে চালককে হত্যা করে অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ নেন। পরদিন সকালে স্থানীয় মাঠ থেকে লাশ উদ্ধার হলে মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আবদুল গফুর শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। পরে সংবাদ পেয়ে বগুড়ার চুরিপট্টির ব্যবসায়ী ও বড় কুমিড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল হামিদ লাশটি তাঁর ছেলে মিনহাজুল আবেদীনের বলে শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করলে তাঁরা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অন্য চারজন পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে গতকাল এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল মতিন। | 270,063 |
নিউইয়র্ক প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১১:১৯ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১১:১৯ | যুক্তরাষ্ট্র | 0 | হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে তল্লাশির নির্দেশ | http://www.prothom-alo.com/international/article/151732 | যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রীবাহী বিমানে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ হঠাত্ করেই এ সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করে।সুনির্দিষ্ট নয় এমন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, যাত্রীবাহী বিমানে বিস্ফোরণের জন্য পাদুকা বোমা ব্যবহার করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাত্রীবেশে জুতার মধ্যে বিস্ফোরক নিয়ে বিমানে ওঠার চেষ্টা করা হতে পারে বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে।কোন বিমান পরিবহন সংস্থা বা কোন দেশ থেকে আসা ফ্লাইটে এমন চেষ্টা করা হতে পারে, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য সতর্কবার্তায় দেওয়া হয়নি।২০০১ সালে হ্যারি রিড নামের একজন বিমানযাত্রী মায়ামিগামী ফ্লাইটে জুতার মধ্যে লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক ব্যবহারের চেষ্টা করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে যাত্রীদের জুতা খুলে তল্লাশি করা হয়। নতুন করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সতর্কবার্তার পর যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমান যাত্রীদের ডিপার্টিং বিমানবন্দরেও অতিরিক্ত তল্লাশিতে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।গতকাল ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা যাত্রীরা জানান, বিমানে ওঠার আগে তাঁদের দীর্ঘ তল্লাশিতে পড়তে হয়েছে। নতুন করে জারি করা এ সতর্কবার্তা ঠিক কত দিনের জন্য বলবত্ থাকবে, তা জানানো হয়নি। | 52,713 |
বিল এমট | opinion | মতামত | ১৬ মার্চ ২০১৬, ০১:০৯ | ১৬ মার্চ ২০১৬, ০১:১১ | মতামত,আন্তর্জাতিক | 0 | ট্রাম্পের বিপক্ষে সটান দাঁড়াতে হবে | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/800050 | মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রচারণায় ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানে মানুষ যেমন ভয় পেয়েছিল, তেমনি তাঁর প্রতি আকৃষ্টও হয়েছিল। তাঁর প্রচারণা নিয়ে একসময় মানুষ উপহাস করলেও তাতে সফলতা মিলছে, সম্প্রতি মিসিসিপি, মিশিগান ও হাওয়াইয়ের প্রাইমারি নির্বাচনেও তিনি জিতেছেন। ফলে পণ্ডিতেরা এই বিষয়টি বোঝার জন্য ঐতিহাসিক ও বিদেশি তুলনা খুঁজছেন। কোনো তুলনাই যথার্থ না হওয়ার পর দেখা গেল, ইতালীয় মিডিয়া মোগল সিলভিও বেরলুসকোনির সঙ্গেই তাঁর তুলনাটা যথার্থ হয়েছে, যে বেরলুসকোনি তিনবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এই মডেল দেখে আশ্বস্ত হওয়ার কিছু নেই।নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ট্রাম্প ও বেরলুসকোনির মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় ভাসা ভাসা মিল আছে, যেমন ধরুন একাধিক বিয়ে ও সাধারণভাবে অশ্লীল স্টাইল। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যেটা একই সঙ্গে সবচেয়ে উদ্বেগজনকও বটে, সাদৃশ্য হলো, তিনি নিজের বিক্রেতাসুলভ মনোভাব দিয়ে অন্তঃসারশূন্যতা ঢাকতে চান, প্রচারণা ও সুবিধা পাওয়ার জন্য মুখের ওপর মিথ্যা কথা বলেন, আর সমালোচকদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেন। বেরলুসকোনি নীতিগত ও মূল আদর্শিক অবস্থানে কখনোই ধারাবাহিক ছিলেন না। নির্বাচনী প্রচারণায় যা বললে ভোট পাওয়া সম্ভব ছিল, তিনি ঠিক তা-ই বলেছেন। যে তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন জোট গঠন করার জন্যও তিনি তা-ই করেছেন। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা বা সেটার বাড়বাড়ন্ত করা। এখন পর্যন্ত ট্রাম্পও ঠিক একই কাজ করেছেন, যা বললে আরেকটি ভোট পাওয়া যাবে, তিনি ঠিক তা-ই বলেছেন। এখন কথা হচ্ছে, হোয়াইট হাউসে গেলে তাঁর কী অবস্থা হবে। মার্কিন সংবিধানে যে ভারসাম্য রাখা হয়েছে, তাতে সরকারের একটি শাখার পক্ষে যা খুশি তা-ই করা সম্ভব নয়। কিন্তু গণতন্ত্রে জনমত প্রভাবিত করা খুবই শক্তিশালী অস্ত্র, আর এ কাজে তিনি বেরলুসকোনির মতোই সিদ্ধহস্ত, অন্যদের চেয়ে ভালো।২০০১-০৬ ও ২০০৮-১১ সালে বেরলুসকোনির (১৯৯৪-৯৫ সালেও তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন) সবচেয়ে বড় সফলতা ছিল গণমাধ্যম ও জনমত নিয়ন্ত্রণ করা। যদিও ইতালির মানুষ এমনিতেই সরকারের ওপর ভরসা করেন না, যাঁরা মনে করেন, সরকারের কাজই হচ্ছে নিজ স্বার্থ উদ্ধার করা, সেই মানুষের অনুভূতিবোধ বেরলুসকোনি আরও ভোঁতা করে দিয়েছিলেন। তিনি কোনোভাবে ইতালীয়দের মনে এ বিশ্বাস সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন যে তাঁদের সমাজ ও অর্থনীতি ঠিকঠাক চলছে, এমনকি ২০০৮ সালের মহামন্দার সময়ও তিনি এ কাজ করেছিলেন, যদিও বিষয়টা আদৌ সে রকম ছিল না। তাঁর নেতৃত্বে ইতালির অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, যখন তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা উচিত ছিল।বেরলুসকোনি কীভাবে এটা করলেন? মূলত, তিনি রসিকতা, মিথ্যা ও হাসি কাজে লাগাতেন। যখন এটা কাজ করত না, তখন তিনি জোর করতেন, যার মধ্যে মানহানির মামলাও আছে। কথা হচ্ছে, খুব কম গণমাধ্যম ব্যবসায়ীই সাংবাদিকসহ অন্য সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করার লক্ষ্যে এত মানহানির মামলা করেছেন। জানিয়ে রাখা ভালো, ইতালির প্রধান টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকানা বেরলুসকোনির, একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি পত্রিকাও আছে তাঁর (এগুলো হয় তাঁর সরাসরি মালিকানাধীন, না হলে তাঁর আত্মীয়দের মালিকানাধীন)। প্রখ্যাত ইতালীয় মাফিয়াবিরোধী লেখক রবার্তো স্যাভিয়ানো বেরলুসকোনির ‘কাঁদা যন্ত্রের’ কথা উল্লেখ করেছেন, যেটা দিয়ে তিনি তাঁদের মুখে কালি লেপে দিতেন, যাঁরা তাঁর পথের বাধা হয়ে দাঁড়ানোর সাহস দেখাতেন (একটু ঝেড়ে কাশি: দ্য ইকোনমিস্ট-এর সম্পাদক হিসেবে বেরলুসকোনি আমার বিরুদ্ধে দুটি মানহানির মামলা করেছিলেন)।ট্রাম্পের তূণে এসব অস্ত্রই আছে, তিনি বিরোধীদের ব্যাপারে আক্রমণাত্মক, বিশেষ করে গণমাধ্যমের ব্যাপারে। নিজের ব্যবসায়ী ক্যারিয়ারে তিনি বারবার মানহানির আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি বলেও দিয়েছেন, নির্বাচনে জিতলে গণমাধ্যমের সমালোচনার কণ্ঠও রুদ্ধ করবেন। তবে তাঁর মূল বার্তায় কিন্তু আশাবাদ আছে, যেটা তিনি দিয়েছিলেন রসিকতার ছলে, প্রশস্ত একটি হাসি দিয়ে। বেরলুসকোনি এটা দেখিয়ে গেছেন, মানুষ যখন রুষ্ট ও মোহমুক্ত হয়ে পড়ে, তখন দীর্ঘ সময়ের জন্য এ কৌশল বেশ কার্যকর।যে পণ্ডিতেরা ট্রাম্পের সঙ্গে বেরলুসকোনির তুলনা করেছেন, তাঁরা এই দুই ধুমধাড়াক্কা ধনকুবেরের মধ্যে একটি পার্থক্য দেখিয়েছেন: বেরলুসকোনির আকর্ষণ বেশি, তিনি অধিকতর ব্যবসাবান্ধব। এই তুলনা বেরলুসকোনির প্রতি শুধু বেশি উদার নয়, এর মধ্যে একটা ঝুঁকিও আছে, সেটা হলো ট্রাম্প তাঁর ইতালীয় সমকক্ষের মতো অতটা বিপজ্জনক নন। বাস্তবতা হলো, বেরলুসকোনির আকর্ষণ আছে তা সত্য, তবে ট্রাম্পের সমর্থন বাড়ার ঘটনা থেকে বোঝা যায়, তাঁরও আকর্ষণ আছে, যদিও তা হয়তো অতটা প্রলুব্ধকর নয়। তবে বেরলুসকোনির সঙ্গে ইতালির বিভিন্ন মাফিয়া গোষ্ঠীর যোগাযোগ আছে, তার তো জোরালো প্রমাণ আছেই। কিন্তু আজ যুক্তরাষ্ট্রে তাৎপর্যের দিক থেকে এর কোনোটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা হলো, তাঁরা দুজনেই নির্মম, নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে যেকোনো কিছু করতেই তাঁরা প্রস্তুত। এই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পকে খাটো করা হবে বড় ধরনের ভুল। প্রমাণ হবে, আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও তিনি শক্তিশালী, বেশি পিচ্ছিল ও সহ্য ক্ষমতাসম্পন্ন। ফলে বেরলুসকোনির শাসনে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল, সে রকম কিছু এড়াতে তাঁকে ক্রমাগত সমালোচনা করতে হবে, তাঁর মিথ্যাচার উন্মোচন করতে হবে, আর তাঁর প্রতিটি কাজ ও শব্দের জবাবদিহি চাইতে হবে। সে তিনি আমাদের যতই হুমকি দিন না কেন, অবজ্ঞা করুন না কেন।বহু ইতালীয়ই বেরলুসকোনির মিথ্যা ও ব্যর্থতাকে পাত্তা দেননি। তাঁরা মনে করতেন, বেরলুসকোনি সামান্য ক্ষতি করে তাড়াতাড়ি বিদায় নেবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই ভুল করতে পারে না। মার্কিনরা একটা কথা বলে, স্বাধীনতার মূল্য চোকাতে হয় চিরন্তন সতর্কতা দিয়ে, অর্থাৎ স্বাধীনতা ধরে রাখতে হলে তাকে সব সময় পাহারা দিয়ে রাখতে হয়। ট্রাম্পের মুখোমুখি দাঁড়াতে হলে ছাড় দেওয়া চলবে না।স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন।বিল এমট: দ্য ইকোনমিস্টের সাবেক সম্পাদক। | 211,384 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ৩১ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫০ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫০ | বিনোদন,টেলিভিশন | 0 | দ্বীপে বিস্মিত অপূর্ব | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/438607 | পর্দায় অভিনয় করছেন বড় ভাই। পেছনে বাজছে ছোট ভাইয়ের তৈরি করা আবহসংগীত। দুই ভাই এভাবেই দর্শকদের কাছে ধরা দেবেন লেক ড্রাইভ লেন ধারাবাহিকে। পর্দায় দেখা যাবে অভিনেতা অপূর্বকে, আর পেছনে বাজবে তাঁর ছোট ভাই দর্পণ দ্বীপের করা সংগীত। মেজবাহ উদ্দিন সুমনের রচনা ও নজরুল ইসলাম রাজুর পরিচালনায় ধারাবাহিকটির প্রথম ধাপের শুটিং শেষ হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি সোম ও মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এনটিভিতে প্রচারও শুরু হবে লেক ড্রাইভ লেন নাটকটি।দুই ভাইয়ের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট পরিচালক। আর বড় ভাই অভিনীত ধারাবাহিকে আবহসংগীতের কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত দ্বীপ। একই রকম উচ্ছ্বাস অপূর্বের কণ্ঠেও। বললেন, ‘আমি জানতাম না এ নাটকে আমার ছোট ভাই আবহসংগীতের কাজ করছে। এডিটিং হাউসে ওর সঙ্গে দেখা। তখনই খবরটা জানি। ছোট ভাইয়ের জন্য সত্যি গর্ববোধ হয় তখন।’দ্বীপ বলেন, ‘বড় ভাইয়ের অভিনীত নাটকে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। আসলে আমি এ নাটকে কাজ করছি, সেটা ভাই জানত না। জানার পর বিস্মিত হয়েছে।’ দ্বীপ ছায়ানট থেকে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর সাত বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। একখণ্ড স্বপ্ন ও জানি তুমি আসবেই নামে দুটি অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিতভাবে গান লেখা, সুর করাসহ সংগীতের নানা মাধ্যমে কাজ করেন তিনি। | 111,460 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৩, ০১:১৯ | ৩১ অক্টোবর ২০১৩, ০১:১৯ | আইন ও বিচার | 0 | পিলখানা হত্যা মামলার রায় ৫ নভেম্বর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/61540 | পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রায়ের ধার্য দিনে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান এই দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার পাশে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে ২০ অক্টোবর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিন বিচারক রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবর (বুধবার) দিন ধার্য করেছিলেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন বলেন, ইতিহাসে এত বড় মামলা আর হয়নি। তাই রায় লিখতে সময় লাগছে। মাত্র ১০ দিন আগে মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে। তাই এ মামলার রায় প্রস্তুত করতে সময় লাগছে।২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তত্কালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় প্রথমে লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ জন বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এ মামলায়ও সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। | 24,246 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫২ | ২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫২ | বিনোদন,বাংলা গান | null | এবার সিডিতে ‘জিরো ডিগ্রি’র গান | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/435907 | আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে অনিমেষ আইচ পরিচালিত ছবি জিরো ডিগ্রি। ছবি মুক্তির দিন কয়েক আগে সিডি আকারে বাজারে আসছে এর গানগুলো। ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করা হবে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয়।জিরো ডিগ্রিতে গান গেয়েছেন জেমস, সামিনা চৌধুরী, ন্যান্সি, সন্ধি, পৃথ্বীরাজ, প্রবর রিপনসহ অনেকে। ছবিটির প্রযোজক ও অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘এই ছবির গানগুলো ডিজিটাল ফরম্যাটে মুক্তি পায় গত মাসে। শ্রোতারা বেশ ভালোভাবেই গানগুলো গ্রহণ করেছেন। আশা করি, সিডিটি মুক্তির পর গানগুলো আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে।’ তিনি জানান, ‘প্রেম ও ঘৃণা’ শিরোনামে ৭ মিনিটের একটি গান করেছেন জেমস। যা ছবিতে দুবার ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যালবামটি বাজারে আনছে জি-সিরিজ।মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবির মাধ্যমে এর অডিও গানগুলো মুক্তি পায় গত ডিসেম্বরে। রবির গ্রাহকেরা ২৮৮৮ নম্বরে ফোন করে গানগুলো শুনতে পারেন। এ ছাড়া সিনেমাটির প্রচারের স্বার্থে নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মাহফুজ। | 110,636 |
মুজিবুর রহমান, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জুলাই ২০১৩, ০২:২৪ | ২২ জুলাই ২০১৩, ০২:২৫ | মৌলভীবাজার,কমলগঞ্জ,অপরাধ | 0 | দুই বছরে সামাজিক বনায়নের পাঁচ হাজার গাছ চুরি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/27934 | মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ-শমশেরনগর সড়কে সামাজিক বনায়নের প্রায় পাঁচ হাজার গাছ কেটে নিয়েছে চোরেরা। দুই বছর ধরে রাতে গাছগুলো কেটে নেওয়া হলেও উপকারভোগী সমিতি ও বন বিভাগ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে শমশেরনগর থেকে কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সাড়ে ছয় হাজার গাছ রোপণ করা হয়। এখানে আকাশমণি, মনেজিয়ানসহ নানা জাতের গাছের চারা লাগানো হয়েছিল। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে অল্প কিছু গাছ আছে। বিভিন্ন স্থানে রয়েছে গাছের গুঁড়ি ও মোথা।এলাকার কয়েকজন জানান, প্রতি রাতেই এই সড়ক থেকে চোর চক্র একটি-দুটি করে গাছ কেটে নেয়। এ কারণে সড়কের ওই ছয় কিলোমিটার এলাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে।শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়ক সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সমিতির সদস্য আবদুর রহমান ও আবদুল গনি অভিযোগ করেন, সমিতির ১০০ জন সদস্য ওই ছয় কিলোমিটার সড়কের দুই ধারে সাড়ে ছয় হাজার গাছ রোপণ করেন। গাছের চারা একটু বড় হতেই চোর চক্র প্রতি রাতে একটি-দুটি করে গাছ কেটে নিতে শুরু করে। এই গাছ চোরদের শনাক্ত করে উপকারভোগী সমিতির সভাপতিকে জানানোর পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়ক সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সমিতির সভাপতি আবদুল বাছিত বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে প্রতি রাতে একটি-দুটি করে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ কেটে নিয়েছে গাছচোর চক্র। উপকারভোগী সদস্যরা চুরি যাওয়া গাছসহ হাতেনাতে গাছচোরদের ধরলে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক আহমদ প্রভাব খাটিয়ে চোরদের ছাড়িয়ে নেন। ভবিষ্যতে আর গাছ চুরি করবে না বলে আটক ব্যক্তিরা মুচলেকা দিয়েছিল। কিন্তু এখন সড়কের ধারে গাছ নেই বললেই চলে। ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, গাছচোর সদস্যরা তাঁর ওয়ার্ডের লোক ছিলেন বলে প্রথমবারের মতো ক্ষমা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন। কমলগঞ্জের রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রভাত কুসুম আচার্য্য বলেন, সামাজিক বনায়নের গাছগুলো উপকারভোগী সমিতির সদস্যরা রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। এত কম জনবল নিয়ে পুরো উপজেলার বনাঞ্চল ও সড়কের পাশের গাছ দেখভাল করা সম্ভব হচ্ছে না। উপকারভোগী সমিতির সদস্যদের নিয়ে শিগগিরই বৈঠক করে করণীয় ঠিক করা হবে। | 4,247 |
শেরপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩০ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩১ | শেরপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | গজনী অবকাশ কেন্দ্রে ছিনতাইকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার ২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/741016 | শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশকেন্দ্র-সংলগ্ন গারো পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের শটগানের গুলিতে অপর দুজন আহত হলেও তাঁরা পালিয়ে গেছেন। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জামালপুরের লাঙ্গলজোড়া গ্রামের জামিনুল শেখ (২৪) ও মো. শাকিল (২০)। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাই করা দুটি মুঠোফোন, কয়েকটি মুখোশ, একটি চাকু ও গাঁজা জব্দ করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পর্যটন মৌসুমে একটি চক্র গজনী অবকাশকেন্দ্র এবং এর আশপাশের এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুর একটার দিকে ঝিনাইগাতী থানার একদল পুলিশ সাদা পোশাকে ওই অবকাশকেন্দ্রে বেড়াতে যান। পুলিশের দলটি গারো পাহাড়ের গহিন অরণ্যের দিকে গেলে কয়েকজন যুবক তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের দলটি ওই যুবকদের লক্ষ্য করে শটগানের আটটি গুলি ছোড়ে। এতে দুই যুবক আহত হলেও তাঁরা পালিয়ে যান। পুলিশ অপর দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে গজনী অবকাশকেন্দ্রে হওয়া ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। | 192,903 |
বগুড়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৬ | ৩০ এপ্রিল ২০১৪, ০২:২৭ | বগুড়া,বিশাল বাংলা,রাজশাহী | 0 | অবৈধ ওষুধের গুদামে অভিযান, জরিমানা, জব্দ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/205201 | বগুড়ায় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের গুদামে (ডিপো) অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন ওষুধ ও প্রায় আট হাজার প্যাকেট টেস্টি স্যালাইন জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।পরে অনুমোদনহীন ওষুধ মজুত ও বাজারজাতকরণের অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামের ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া শহরের সেউজগাড়ি ও মালতিনগর এলাকায় পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে এই অভিযান চালান।বগুড়ার ওষুধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক সুকর্ণ আহমেদ বলেন, গতকাল দুপুরে শহরের সেউজগাড়ি পানির ট্যাংকির লেনে এশিয়া ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে চাঁদপুরের একটি অনুমোদনহীন স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বগুড়া অঞ্চলের গুদামে অভিযান চালানো হয়। | 69,745 |
রোজিনা ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ অক্টোবর ২০১৪, ০২:১৮ | ২০ অক্টোবর ২০১৪, ০২:৪৮ | অপরাধ | null | এবার উপসচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/348835 | মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাময়িক সনদ নেওয়ায় আরও এক উপসচিবের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিন সচিব ও এক যুগ্ম সচিবকে কারণ দর্শানো হয়েছিল। গতকাল কারণ দর্শানো উপসচিব শেখ আলাউদ্দিনকে সম্প্রতি ওএসডি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়ার বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ আলাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে জনপ্রশাসন সচিবের সই করা চিঠিতে বলা হযেছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত ২০ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ নেওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ অনুযায়ী, অসদাচরণের অভিযোগে কেন আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—এ চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর অনুরোধ করা হলো। গত ১৩ আগস্ট একইভাবে তিন সচিব ও এক যুগ্ম সচিবকে কারণ দর্শানো হয়। তাঁরা এখনো নোটিশের জবাব দেননি বলে জানা গেছে।জানতে চাইলে জনপ্রশাসনসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিধি অনুযায়ী কারণ দর্শানো হয়েছে। তাঁদের জবাবের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।চার সচিবের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশএদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামানের বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কারণ, তিনি অবসরে গিয়ে চুক্তিতে চাকরি করছেন। তাঁর ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা প্রযোজ্য নয়। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় তাঁর সনদ বাতিল করেনি, স্থগিত করেছে। মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান বর্তমানে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বেসরকারীকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।অন্যদিকে ভুল ব্যাখ্যা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ (প্রত্যয়নপত্র) নেওয়ায় যুগ্ম সচিব, চিকিৎসক, ব্যাংকার, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সনদ বাতিলের পর তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ফৌজদারি মামলা করতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার অসদাচরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে নানা অভিযোগ আসছে। এ ছাড়া প্রতিদিন দু-একটি করে সনদ বাতিলও হচ্ছে।গত ২২ জানুয়ারি ‘চাকরির শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ার হিড়িক’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে এই পাঁচ সচিবের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এরপর এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। এর পর থেকে মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করে এ পর্যন্ত ১৮২ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ বাতিল করেছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে অবসরে গেছেন। | 102,020 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ আগস্ট ২০১৩, ১২:১৫ | ৩১ জুলাই ২০১৮, ১৫:৫৪ | রাজধানী (জাতীয়),ঢাকা,ঢাকা বিভাগ | null | ১৮ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/35688 | রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকা থেকে ১৮ লাখ টাকার জাল নোটসহ এক ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)। র্যাব-১০ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।একই সঙ্গে জাল নোট তৈরির বিপুল পরিমাণ কাগজ, উপকরণ ও যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। | 7,725 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৫৬ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৫৮ | খুন,অপরাধ,আইনশৃঙ্খলা,রংপুর,রংপুর বিভাগ | 0 | রংপুরে ধানখেত থেকে রংমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1556041 | রংপুরে ধানখেত থেকে এক রংমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গিলাবাড়ি চাঁদেরহাট এলাকায় একটি ধানখেত থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত ব্যক্তির নাম মজমুল হক (২৫)। তিনি ওই ওয়ার্ডের জগদীশপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহত মজমুলের বাড়ি থেকে আনুমানিক এক হাজার গজ দূরে একটি ধানখেতে লাশটি পড়েছিল। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে বলে পুলিশের ধারণা।নিহত মজমুলের বাবা আবদুর রহমান জানান, ছেলে মজমুল রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। বিয়ে করেননি। গতকাল রোববার রাতে খাওয়ার পর নিজ ঘরে ঘুমাতে যান মজমুল। সকালে তাঁকে ঘরে না পেয়ে খোঁজখবর শুরু করা হয়। আজ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি লাশ শনাক্ত করেন।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মজমুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। | 375,540 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২১ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১১ | ২১ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১১ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | তীরে তরি ডুবল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/430033 | শ্রীলঙ্কার যুবাদের ১৭৯ রানে আটকে রেখে নিশ্চয়ই সিরিজে সমতা ফেরানোর স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু কে জানত, কলম্বোর কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে মাত্র ৪ রানে হারের হতাশায় পুড়তে হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে! পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ২-০তে এগিয়ে স্বাগতিকেরা।অবশ্য পরাজয়ের ব্যবধান শেষ পর্যন্ত ৪ রানে নিয়ে আসতে পারাও একটা ‘সাফল্য’ বাংলাদেশের জন্য। ১৮০ রানের জয়ের লক্ষ্যে মাত্র ৫২ রানেই যে হারাতে হয়েছিল ৬ উইকেট! তার পরও জয়ের স্বপ্ন দেখান সাত নম্বর ব্যাটসম্যান শাহনূর রহমান। ১২৩ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি তিনি।এর আগে ৯২ রানে ৪ উইকেট তুলে বাংলাদেশের বোলাররা ভালোই চেপে ধরেছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু ওয়ান ডাউনে নামা চারিথ আসালাঙ্কার (৬৮) ফিফটির সৌজন্যে স্বাগতিকদের করা ৯ উইকেটে ১৭৯ রান জয়ের জন্য হলো যথেষ্টই।সংক্ষিপ্ত স্কোর:শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯: ৫০ ওভারে ১৭৯/৯ (আসালাঙ্কা ৬৮, রান্ডিকা ২৪; নাহিদ ২/৩৪, সাইফুদ্দিন ২/৪৪, মেহেদী ২/১৫, সালেহ ৩/১৭, শাহনূর ০/২৮, সঞ্জিত ০/৩৬)।বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৭.১ ওভারে ১৭৫ (মুনিম ৩, সাইফ ৪, নাজমুল ৩, জাকির ১৩, জয়রাজ ৩, মেহেদী ৮, শাহনূর ৭২, সাইফুদ্দিন ২৯, সঞ্জিত ৬, নাহিদ ৮, সালেহ ০*; ফার্নান্ডো ৬/৩৭)।ফল: শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ ৪ রানে জয়ী। | 108,508 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৫৫ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৫৭ | ভারত | 0 | তৃণমূল ছাড়লেন সৃঞ্জয় ও লকেট | http://www.prothom-alo.com/international/article/444109 | ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন রাজ্যসভার সদস্য সৃঞ্জয় বসু ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আলোচিত সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হওয়ার ৭৫ দিন পর গত বুধবার জামিন পান সৃঞ্জয়। এর এক দিন পর গতকাল দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে সকালে তিনি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেন।লকেট চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছাড়ার পাশাপাশি বিজেপিতে যোগ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে নিজের নীতি ও আদর্শ মিলছিল না। দমবন্ধ লাগছিল। দলে থেকে এর প্রতিবাদ করা যাচ্ছিল না। তাই মুক্ত আকাশের খোঁজে এসেছেন বিজেপিতে। | 113,181 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ০২:০১ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ০২:০৩ | -1 | null | থেমে গেল দেহঘড়ি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/40639 | এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনি পড়ে রবে/ সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে’—বিজয় সরকারের এই গানটি বহুশ্রুত হয়েছিল আবদুর রহমান বয়াতির অনুপম কণ্ঠে। সেই কণ্ঠে সুর থেমে গিয়েছিল ১০ বছর আগেই। গতকাল থেমে গেল হূৎস্পন্দনও। সুন্দর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চিরবিদায় নিলেন দেশের লোকসংগীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী আবদুর রহমান বয়াতি।এক দশক ধরে রোগভোগের পর গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় ৭৭ বছর বয়সে রাজধানীর জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনি ও দেশ-বিদেশে অসংখ্য অনুরাগী রেখে গেছেন। শিল্পীর ছেলে আলম বয়াতি জানান, গত ১৮ জুলাই চতুর্থবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন থেকেই তাঁকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গতকাল সকালে তিনি অজানা অনন্তলোকে যাত্রা করেন।গতকাল বারডেমের হিমঘরে রাখা হয় মরদেহ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শিল্পীকে আনা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শ্রদ্ধা নিবেদনপর্ব চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা হবে। এরপর নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর বাসা মাতুয়াইলের মৃধাবাড়িতে। সেখানে হবে দ্বিতীয় জানাজা। তৃতীয় জানাজা হবে দয়াগঞ্জ নূর মসজিদে বাদ আসর। এরপর শিল্পীর অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী দয়াগঞ্জ পঞ্চায়েতের স্বামীবাগ কবরস্থানে তাঁর বাবা-মায়ের কবরের পাশে অন্তিম শয়ানে শায়িত করা হবে। আবদুর রহমান বয়াতির মৃত্যুর খবরে তাঁর অগণিত ভক্তের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালের সামনে তাঁর গানের অনেক নাম না-জানা ভক্ত ভারাক্রান্ত মনে সমবেত হন অন্তিম শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। সংগীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শিল্পী আবদুল কুদ্দুস বয়াতি, চিত্রনায়ক উজ্জল, নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, লিয়াকত দেওয়ান, বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমানসহ অনেকে।লোকসংগীতশিল্পী আবদুর রহমান বয়াতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, সংস্কৃতিসচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সারাজীবন বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকগানের ভেলা ভাসিয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন আবদুর রহমান বয়াতি। গায়ের রং কালো। নির্মেদ লম্বা শরীর। মাথাভরা বাবরি চুল। হাতে একখানা ‘বওয়া’ নিয়ে মঞ্চে উঠে যখন তিনি দরাজ গলায় গেয়ে উঠতেন ‘মন আমার দেহঘড়ি’ তখন মঞ্চের সামনে বসা অগণিত শ্রোতা-দর্শক বিমোহিত হয়ে পড়তেন সেই সুরে। অসাধারণ ছিল তাঁর গায়কি। বাংলার মটিঘেঁষা সুর অনন্য হয়ে উঠত তাঁর কণ্ঠে। পল্লিগীতি, মুর্শিদি, ভাওয়াইয়া, দেহতত্ত্ব, লালন-হাসনের গানসহ বৈভবময় লোকসংগীতে প্রায় সব ধরনের গানেই ছিল তাঁর সহজাত পারঙ্গমতা। তবে তাঁর একেবারে নিজের ক্ষেত্র ছিল জারিগান। এ ক্ষেত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। বলা যায় লোকসংগীতের এই বিশেষ ধারাটি তাঁর পরিচর্যাতেই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নগরবাসী শ্রোতার কাছে উঠে এসেছিল। আবদুর রহমান বয়াতির অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। এর মধ্যে জারিগানের ক্যাসেটই তিন শতাধিক। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসব গান সংগ্রহ করে গেয়েছেন তিনি।আবদুর রহমান বয়াতির জন্ম ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি, ঢাকার দয়াগঞ্জে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। বাড়িতে গান-বাজনার চর্চা ছিল না। তবে তাঁর গানের গলা ছিল চমৎকার। শৈশব থেকেই তিনি মেতেছিলেন লোকগানের সুরে। পরে গান শিখেছেন বিক্রমপুরের বিখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী আলাউদ্দিন বয়াতির কাছে। মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, সরকারি বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও বিজ্ঞাপনের অসংখ্য গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তাঁর রেকর্ড করা গানের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। কসাই, অসতী ও হূদয় থেকে হূদয় চলচ্চিত্রে গান করার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন তিনি। দেশে বিপুল জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বিদেশেও তিনি নিয়ে গেছেন বাংলা লোকসংগীতকে। শিল্পী তাঁর ৬০ বছরের বেশি সংগীতজীবনে বহুবার যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ায় গান শুনিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। এ ছাড়া হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, জার্মানি, স্কটল্যান্ড, রাশিয়া, কাতার, কোরিয়া, দুবাই, ইরান, আবুধাবি, বাহরাইন, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, উজবেকিস্তান ও আফ্রিকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করেছেন তিনি।আকস্মিকভাবেই তাঁর দরাজ গলা থেমে গিয়েছিল ২০০৩ সালে। ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর বিটিভির একটি অনুষ্ঠানে নিজের লেখা ও সুর করা ‘মরণের কথা কেন স্মরণ করো না’ গানটি গাইবার পরপরই তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে। ওই গানটিই ছিল তাঁর শেষ গান। এরপর ২০০৪ সালে শিল্পকলা একাডেমীর লোকসংগীত উৎসবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মঞ্চে এসে আর গাইতে পারেননি। অশ্রুসিক্ত বিদায় নিয়েছিলেন মঞ্চ থেকে। ২০০৮ সালে এটিএন মিউজিক থেকে পুরোনো গান নিয়ে দেহঘড়ি নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এটিই তাঁর শেষ অ্যালবাম।জীবনের শেষ ১০টি বছর অত্যন্ত কষ্টে, বেদনায় কেটেছে গণমানুষের এই প্রিয় শিল্পীর। আলম দেওয়ান জানান, গান গাইতে না পারার বেদনায় প্রায়ই নীরবে অশ্রু বিসর্জন করতেন। উপরন্তু ছিল তীব্র আর্থিক সংকট। দিলদরিয়া মানুষ ছিলেন। সঞ্চয় বিশেষ কিছু ছিল না। থাকতেন ভাড়াবাড়িতে। ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে গিয়ে বহু ধারকর্জ করতে হয়েছে। শেষ দিকে এসে গত বছর প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে তিন লাখ ও পরে বিএনপির চেয়ারপারসনের দেওয়া এক লাখ টাকা পেয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। এ ছাড়া গত বছর থেকে জাপান বাংলাদেশ হাসপাতাল তাঁর চিকিৎসা সহায়তা দেয়।দেশ-বিদেশে লোকসংগীতের চর্চা, প্রসার ও জনমনরঞ্জনে অসাধারণ ভূমিকা রাখলেও আবদুর রহমান বয়াতি কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি। তবে বেসরকারি নানা সংস্থা ও সংগঠন তাঁকে সম্মানিত করেছে বহু পুরস্কার ও সম্মাননায়। আর অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়েছেন মাটির কাছাকাছি থাকা আমজনতার। সেই ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই চিরবিদায় নিচ্ছেন তিনি। | 10,540 |
বগুড়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৩, ১১:৫০ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৩, ১২:০৯ | রাজনীতি | null | বগুড়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ককটেল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/88276 | বগুড়ায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আজ সোমবার দুপুরের দিকে পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসার কয়েক মিনিট আগে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া-৪ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ও বগুড়া-৭ আসনে মোস্তফা আলম আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আজই শেষ দিন। তাঁরা সেখানে আসার কয়েক মিনিট আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিকট শব্দে পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার খানিক পর ওই দুই প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। | 32,334 |
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ আগস্ট ২০১৫, ১২:৪২ | ০১ আগস্ট ২০১৫, ১২:৪২ | অপরাধ | null | টেকনাফে প্রায় দেড় লাখ ইয়াবা উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/590518 | কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভায় এক লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। বিজিবির দাবি, উদ্ধার হওয়া এক লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ির মূল্য প্রায় চার কোটি ২০ লাখ টাকা।আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার নতুন ট্রানজিট ঘাট এলাকা থেকে এসব ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।টেকনাফ ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ বলেন, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানতে পারে বিজিবি। এই তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোর থেকে টেকনাফ সদর চৌকির তিনটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। পাচারকারীরা মাছ ধরার জেলে সেজে একটি নৌকা নতুন ট্রানজিট ঘাটে নোঙর করে। এ সময় ঘাটের পাশে দুই ব্যক্তির হাতে একটি জালের বস্তা দেখে সন্দেহ হলে বিজিবির জওয়ানরা তাঁদের থামার সংকেত দেন। এ সময় ওই দুই ব্যক্তি বস্তাটি ফেলে দৌড়ে পাশের গ্রামে পালিয়ে যায়। পরে ওই জালের ভেতর থেকে ইয়াবা বড়িগুলো উদ্ধার করা হয়।আবুজার আল জাহিদ বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ইয়াবা বড়িগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 156,525 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১০ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:৪১ | ১০ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:৪৩ | মঞ্চ | 0 | ‘সিরাজ যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/997849 | সিরাজ এক সহজ-সরল যুবক। একদিন ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখে সে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার চেয়ারে বসে আছে। আর মসনদে বসেই সে তার উজির, নাজিরদের নানা হুকুম দিচ্ছে।‘সিরাজ যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের শুরুটা এমন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় নাটকটি।বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রযোজনা ‘সিরাজ যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। এটি নব নাট্যরূপায়ন ও নির্দেশনা দিয়েছেন আবদুল আজিজ। এতে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করেছেন খন্দকার শাহ আলম।নাটকে দেখা যায়, ইংরেজদের সঙ্গে মীর জাফর হাত মিলিয়ে নবাবকে সর্বস্বান্ত করার সব চেষ্টা সম্পন্ন করেছে। মীর জাফরের চক্রান্তে নবাব তার মসনদ হারানোর পর সর্বস্বান্ত হয়ে পথে পথে ঘুরছিলেন এমন সময় স্ত্রীর ডাকে ঘুম ভেঙে যায় যুবক সিরাজের। ঘুম ভাঙার পর সে বুঝল স্বপ্নে সে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সিংহাসনে বসেছিল। এভাবেই এগিয়ে যায় কমেডি-র্ভর নাটক ‘সিরাজ যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’।নাটকটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শফি কামাল, নবীয়া ইসলাম, মাসুদা খান, ফাতেমা আক্তার ও আবদুল আজিজ প্রমুখ। | 254,727 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫৬ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫৬ | নেত্রকোনা,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/333730 | নেত্রকোনায় এক নারীকে হত্যার দায়ে হেদায়েত উল্যাহ (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নেত্রকোনার অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আবদুল হামিদ গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত হেদায়েত উল্যাহ নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার গাতীপাড়া গ্রামের মৃত সোহরাব মিয়ার ছেলে। আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হেদায়েত আম্বিয়া নামের এক নারীকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়ায় বেড়াতে নিয়ে এসে ২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে হত্যা করে পালিয়ে যান। নেত্রকোনা প্রতিনিধি | 97,729 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুলাই ২০১৬, ০২:৩২ | ২৩ জুলাই ২০১৬, ০২:৩৮ | গুলশানে হামলা,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ভারতীয় জঙ্গি মুছার যোগ খতিয়ে দেখছে এনআইএ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/922789 | গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে ভারতে আটক আবু আল মুছা আল বেঙ্গলির কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। মুছা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির হেফাজতে আছেন।ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, মুছার সঙ্গে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা মোহাম্মদ সুলেমানের যোগাযোগ ছিল। এই সুলেমান গুলশানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে বলা হচ্ছে। এই সুলেমান ও তাঁর সহযোগীদের ধরার জন্য এনআইএ মুছাকে নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, এনআইএ ও পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি যৌথভাবে কয়েক দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদে মুছা বলেছেন, সুলেমানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ দীর্ঘদিনের এবং ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে তাঁদের ছয়বার সাক্ষাৎ হয়েছে।পত্রিকাটি বলেছে, সুলেমানই ভারতে জেএমবির কাজকর্ম দেখতেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে আইএসের জন্য জঙ্গি সংগ্রহের কাজে জড়িত ছিলেন মুছা।নমুনা হস্তান্তর: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জনের সংগৃহীত রক্ত ও চুলের নমুনা পরীক্ষার জন্য গতকাল শুক্রবার সকালে এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয় থেকে তদন্তকারীরা সংগৃহীত চুল ও রক্তের নমুনা গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের ওই দলটির কাছে হস্তান্তর করেছেন। মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গতকালই নমুনাগুলো এফবিআইয়ের পরীক্ষাগারে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে র্যা বের ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করা চারজনেরমধ্যে এক নারী রুমা আক্তারকে (২৫) গত বুধবার গভীর রাতে নরসিংদী উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের চরখোপি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুমা আক্তার পলাশ উপজেলার সুলতানপুর এলাকার শাহাজ উদ্দিন ওরফে বুদুর মিয়ার মেয়ে। র্যা ব তাদের ফেসবুকে গুলশানে হামলার সময় বেকারির পাশের ৭৯ নম্বর সড়কে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছেন এমন চারজনের ছবি প্রকাশ করে তাঁদের ধরিয়ে দিতে অনুরোধ করেছিল।রুমার ভাগনে সোহেলের বরাত দিয়ে প্রথম আলোর নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, স্বামীর সঙ্গে রুমার বিচ্ছেদ হয়েছে। বছর খানেক আগে তিনি গৃহকর্মীর ভিসায় দুবাই গিয়েছিলেন। সেখানে ভালো না লাগায় তিন মাস পর দেশে ফিরে আসেন। পরে রাজধানীর বাড্ডায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন। এক সপ্তাহ আগে রুমা আক্তার তাঁর বড় বোনের বাড়ি চরখোপি এলাকায় ফরিদা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান। এর মধ্যে গত বুধবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর বাজারে গিয়ে তাঁর স্বজনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে রুমা আক্তারকে সাদাপোশাকের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, গুলশান হামলার ভিডিও চিত্র দেখে রুমাকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না।’ তবে গতকাল রুমার গ্রেপ্তারের খবর জানতে চাইলে মামলার একজন তদন্ত তদারক কর্মকর্তা বলেন, রুমাকে গ্রেপ্তারের কোনো খবর তাঁদের কাছে নেই।জঙ্গিদের লাশ নিতে স্বজনদের যোগাযোগ: সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গের হিমঘরে থাকা পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জনের লাশ ২১ দিনেও তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাঁরা হলেন মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর বাবুর্চি সন্দেহভাজন সাইফুল ইসলাম চৌকিদার।ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, লাশ নিতে হলে স্বজনদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন করতে হবে। লাশের অভিভাবকত্ব নির্ণয়ের জন্য তাঁদের ডিএনএ পরীক্ষাও করা হবে। মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, নিহত ছয়জনের নুমনা সংগ্রহ করে তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরীক্ষাগারে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গতকাল যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, নিহত জঙ্গিদের স্বজনদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। লাশ নিতে হলে তাঁদের আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজের বাবা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা এস এম ইমতিয়াজ খান। গতকাল তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলের লাশ নিতে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে জানি না। আবেদন করতে হলেও করব। সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে নেব।’বগুড়ার খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েলের মা দরিদ্র পিয়ারা বেগম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদের আগে পুলিশ আমাকে ঢাকায় নিয়ে দুদিন রেখেছিল। কয়েকটি কাগজে সইও নিয়েছিল। তখন তারা জানতে চেয়েছিল ছেলের লাশ নিতে চান কি না। আমি বলেছিলাম লাশ দেওয়া হলে নেব। তখন পুলিশ বলেছিল ঈদের পরে লাশ দেওয়া হবে। লাশ পেতে হেলে কী করতে হবে জানি না। এখন দরখাস্ত করা লাগলেও করব।’বগুড়ার শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বলের চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আফজাল হোসেন গতকাল বলেন, ঈদের আগে পুলিশ শফিকুলের বাবার (বদিউজ্জামান) কাছ থেকে বেশ কিছু কাগজে সই নিয়েছিল। শফিকুলের দরিদ্র বাবা জানেন না ছেলের লাশ নিতে হলে এখন তাঁকে কী করতে হবে।জঙ্গি মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম ও হলি আর্টিজানের বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম চৌকিদারের লাশ নিতে চান বলে জানিয়েছেন তাঁদের স্বজনেরা।১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা রবিউল করিম ও সালাউদ্দিন খান। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের নেতৃত্বে সমন্বিত অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। সেখান থেকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মির লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের আগে-পরে উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি ৩২ জনকে। | 242,533 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১২ জানুয়ারি ২০১৮, ২১:৩২ | ১২ জানুয়ারি ২০১৮, ২২:২৫ | ক্রিকেট | null | সবচেয়ে বিরক্তিকর খেলার তিনে ক্রিকেট! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1407366 | শেষ বলে ৫ রান দরকার। কে জিতবে সে চিন্তায় দাঁতে নখ কাটছেন দুই দলের সমর্থকেরা। কারও জ্বর চলে এসেছে, কারও-বা গায়ে দিচ্ছে কাঁপুনি। বোলার বল করলেন, সে বল ব্যাট ছুঁতেই চিৎকার দিয়ে উঠল একদল সমর্থক। অন্য দল হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে বসে পড়ল। ক্রিকেট বিরক্তিকর? এমন কথা বলে, এমন বুকের পাটা কার? ব্রিটিশদের!ক্রিকেটের আদর্শ দর্শক কারা? খুব একটা চিন্তা করতে হয় না। সবাই উত্তরে ইংল্যান্ডের কথাই বলবে। ক্রিকেটের জনকের দাবিদার দেশটিতে এখনো স্বমহিমায় চলছে খেলাটি। এখনো টেস্ট ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়াম ভরে যায় সেখানে। উপমহাদেশের দর্শকদের তুলনায় চার-ছক্কার চেয়ে সত্যিকারের ক্রিকেটেই মজেন তাঁরা। কিন্তু দ্য টাইমস-এর এক প্রতিবেদন সেসব চিন্তা যে মাথা থেকে বের করে দিচ্ছে। টাইমস-এর জরিপে বিরক্তিকর খেলায় তৃতীয় হয়েছে ক্রিকেট!ইউরোপের কোনো ক্রিকেট-বিবর্জিত শহরে গিয়ে জরিপ চালানো হয়নি। কিংবা হালের টি-টোয়েন্টি প্রজন্মকে বানানো হয়নি জরিপের ‘গিনিপিগ’। ব্রিটেনেরই ১ হাজার ৬১৬ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের কাছে ১৭টি খেলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তাতে ৫৮ ভাগ মানুষ বলেছেন, ক্রিকেট তাঁদের কাছে ‘বোরিং’ মনে হয়। ১৭ ভাগ মানুষ এ খেলাকে গড়পড়তা বলেছেন। তা-ও ভালো, ২২ ভাগ মানুষের কাছে অন্তত ক্রিকেটকে রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে।ক্রিকেটের চেয়েও মানুষের বিরক্তি উদ্রেকে এগিয়ে আছে দুটি খেলা। দুইয়ে আছে আমেরিকান ফুটবল। রাগবির যুক্তরাষ্ট্রীয় অপভ্রংশ ৫৯ ভাগ মানুষের কাছেই ভালো লাগেনি। তবে সবার শীর্ষে আছে গলফ। ৭০ ভাগ মানুষের চোখেই গলফ দেখা সময়ের অপচয়। সবচেয়ে মজার বিষয়, বাস্কেটবলের মতো খেলাও ব্রিটিশদের কাছে বিরক্তিকর। দম ফেলতে না দেওয়া এই খেলা ৫২ ভাগ মানুষের কাছে বিরক্তিকর!জরিপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক, ১৭টি খেলার মধ্যে মাত্র ৫টি খেলাই রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে! অ্যাথলেটিকস (৪৭%), টেনিস (৪৩%), ফুটবল (৪৩%), রাগবি (৪১%) ও জিমন্যাস্টিকের (৩৬%) কপালেই শুধু বিরক্তিকরের চেয়ে রোমাঞ্চের দিকে ভোট পড়েছে।তবে ফুটবলের জন্যও সতর্কসংকেত এ জরিপ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কিংবা স্কটিশ লিগ নিয়ে উত্তেজনায় কাঁপতে থাকা একটা অঞ্চলের ৪০ ভাগ মানুষ ফুটবলকে ‘বোরিং’ ভাবে, ভাবা যায়! | 351,124 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ০২ জুন ২০১৬, ০০:০৮ | ০২ জুন ২০১৬, ০১:৩৯ | খবর,প্রতিষ্ঠানের খবর | 0 | যমুনা ব্যাংকের ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/875491 | যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা সম্প্রতি রাজধানীর রমনায় পুলিশ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৫ সালের জন্য ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন যমুনা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মূর্তজা। উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম মুশাররাফ হুসাইন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিকুল আলম এবং কোম্পানি সচিব (চলতি দায়িত্ব) এম এ রউফ। বিজ্ঞপ্তি। | 228,601 |
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৪৪ | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৪৭ | তারাগঞ্জ,রংপুর,বিশাল বাংলা | 0 | মহাসড়কে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/53920 | রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের দুই পাশে যত্রতত্র টেম্পোসহ নানা ছোট যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখায় দিন দিন মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে।আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এদিকে নজর না দেওয়ায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছর মহাসড়কের তারাগঞ্জ উপজেলার অধীন ১২ কিলোমিটার অংশে ছোট-বড় কমপক্ষে ৬০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে ১৯ জন, আহত হয়েছে তিন শতাধিক।সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ইকরচালী, বালাবাড়ী, বামনদীঘি, তারাগঞ্জ, চিকলী ও খিয়ারজুমঞ্চা বাজার এলাকায় মহাসড়কের ওপরই যত্রতত্র টেম্পোসহ বিভিন্ন যান দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে রয়েছে দোকানপাট। এতে মহাসড়কে দ্রুতগামী যানের চলাচল যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনি দিন দিন বাড়ছে যানজট ও পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি।ঘনিরামপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা হলো তারাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু এ বাসস্ট্যান্ডের দুই পাশে তো বটেই, উপজেলার অন্তত ছয়টি জায়গায় মহাসড়কের দুই পাশে এলোমেলোভাবে বিভিন্ন যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে পথচারীরাসহ দ্রুতগামী ও দাঁড়িয়ে থাকা যান সবাইকেই পড়তে হয় ঝুঁকির মধ্যে।চিকলীর বাজার এলাকার আমজাদ হোসেন বলেন, মহাসড়কের এসব অংশে যানজট ও পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মহাসড়কের দুই পাশের দোকান উচ্ছেদ করা হলে যানজট কিছুটা কমেছিল। এখন আবার তা প্রকট আকার ধারণ করেছে।মহাসড়কের বাসচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, তারাগঞ্জ এলাকার মহাসড়কের ওপর যেভাবে টেম্পোসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তাতে গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হয়। এ অংশে যানজটের জন্য গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হয়। নয়তো দুর্ঘটনার ভয় থাকে।এদিকে ঘনিরামপুর গ্রামের টেম্পোর চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘উপজেলায় টেম্পো রাখার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই। তাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের পাশেই যাত্রীর অপেক্ষায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখি। এতে আমরাও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকি। কিন্তু উপার্জনের তাগিদেই আমাদের এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, তারাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডসহ মহাসড়কের কোথাও কেউ যেন গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে না পারে, সে জন্য শিগগিরই সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 22,702 |
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৯ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৪০ | নান্দাইল,ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/781618 | ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পূর্ব দরিল্লা গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মো. সাদেক মিয়া নামের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে নান্দাইল মডেল থানায় গতকাল শুক্রবার মামলা হয়েছে।সাদেককে (৫০) ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রহমত উল্লাহ ও তাঁর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নুরুন্নাহার।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব দরিল্লা গ্রামের সাদেকের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশীদের বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা বিরোধপূর্ণ সীমানা অতিক্রম করে ঘর তুলতে গেলে সাদেক বাধা দেন। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সাদেককে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন। এতে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে প্রতিবেশী মো. আলমগীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাদেকের পুরুষাঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যান। নান্দাইল থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। | 205,669 |
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ অক্টোবর ২০১৬, ১৯:৪০ | ২১ অক্টোবর ২০১৬, ১৯:৫৩ | অপরাধ | 0 | ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, ১৩ পরীক্ষার্থীর সাজা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1004675 | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৩ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার দুপুরে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ওই ১৩ জনকে আটক করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রক্টর কার্যালয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিকেলে প্রত্যেককে দুই বছর করে সাজা দেওয়া হয়।সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান খান, সাবিয়া ইসলাম, আল ইমরান, আকাশ খন্দকার, জাহিদ হাসান, তারিক চৌধুরী, অবণী রায়, মাহমুদুল হাসান তারেক, সাদমান ইয়াছির, আল-আমিন, ইসতিয়াক আহমেদ, জুলকার নাইন নির্ঝর ও সঞ্চিতা রানী।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে কর্তব্যরত শিক্ষকেরা ১৩ জনকে আটক করেন। তাঁরা মুঠোফোনে খুদে বার্তা ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী লালবাগ সার্কেলের নির্বাহী হাকিম রবীন্দ্র চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, ১৩ জনকে দুই বছরের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫৮টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে ২৯টিসহ মোট ৮৭টি কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটের অধীনে বিভিন্ন বিভাগে ১ হাজার ৭৪৫টি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগী ছিলেন ৯০ হাজার ৪২৭ জন। | 257,811 |
ফরিদপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুন ২০১৬, ০১:২৭ | ২৮ জুন ২০১৬, ০১:২৮ | ফরিদপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ইফতার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/901561 | ফরিদপুরে সমাজের উচ্চ ও দরিদ্র শ্রেণির মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও প্রীতি রক্ষায় ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে উদ্যমী তরুণদের সংস্থা উৎসর্গ। গত রোববার সন্ধ্যায় শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ইফতার মাহফিলে দেড় শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে অর্ধেকই ছিল সমাজের অবহেলিত পথশিশু, ভবঘুরে ও ভিক্ষুক। বৈচিত্র্যপূর্ণ এ আয়োজনে সম্প্রীতির এক আবহ সৃষ্টি হয়। ইফতার মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মো. ইলিয়াস। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফরিদপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইদ্রিস শেখ, ব্যবসায়ী সৈয়দ সাইফুল হোসেন ও সন্ধানী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ইউনিট সভাপতি কামাল আহমেদ। | 236,452 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:০৮ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:০৯ | বিশাল বাংলা | 0 | রাজশাহীতে সিআরপি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/764197 | রাজশাহীতে আনুষ্ঠানিকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্রের (সিআরপি) উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে রাজশাহী নগরের মহিষবাথান এলাকায় এর উদ্বোধন করা হয়। জমিদাতার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘আফসার হোসেন সিআরপি কেন্দ্র’। ২০১৩ সালের জুলাই থেকে রাজশাহীতে এর কার্যক্রম শুরু হয়। রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা এর উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ভেলেরি এ টেইলর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল মোমেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। | 200,151 |
আনোয়ার হোসেন | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুন ২০১৬, ১২:৩৯ | ২৩ জুন ২০১৬, ১৫:৪০ | ঢাকা,চট্টগ্রাম | null | চট্টগ্রামে আসছে সোনার বাংলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/896944 | ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে যুক্ত হচ্ছে নতুন ট্রেন। বিরতিহীন আন্তনগর এই ট্রেনের নাম ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’। তবে এবারের এই ট্রেনের সব বগি নতুন। তৈরি ইন্দোনেশিয়ায়। আগামী ২৫ জুন শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেনটির যাত্রা শুরু হবে পরদিন রোববার থেকে।বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সোনার বাংলা ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনের পর আর কোথাও থামবে না। ট্রেনটিতে ১৬টি নতুন বগি থাকবে। প্রতিটি বগি ইন্দোনেশিয়ার তৈরি।বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা থেকে সকাল সাতটায় ছাড়বে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে বিকেল পাঁচটায় ছেড়ে আবার ঢাকার পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। একই রুটে চলাচলকারী আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের মতোই সময় নিয়ে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চলাচল করবে। ১৬টি বগির এই ট্রেনে যাত্রী ধারণক্ষমতা ৭৪৬ জন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) মোট আসন ২২০টি, শোভন চেয়ারের মোট আসন ৪২০টি, এসি বাথের আসন রয়েছে ৬৬টি। এ ছাড়া দুটি খাবার গাড়ির সঙ্গে ৪০টি আসন রয়েছে।সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে এসি চেয়ারের ভাড়া ১১০০ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১০০০ টাকা ও শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রেনে যাত্রীদের খাবার সরবরাহ করবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন।বাংলাদেশের প্রথম বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল শুরু করে ১৯৯৮ সালে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চলাচল করে। তবে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস প্রতি সপ্তাহে শনিবার বন্ধ থাকবে।এদিকে ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষে সেদিন ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। এদিন আগামী ৪ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রির কথা ছিল। পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৪ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ জুন। ৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে ২৭ জুন। | 234,857 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৩, ০৩:০৫ | ০৩ অক্টোবর ২০১৩, ০৩:০৬ | ঢাকা বিভাগ,নারায়ণগঞ্জ,বিশাল বাংলা | 0 | প্রধান দুই দলই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/52577 | ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো শেষ পর্যন্ত পথ খুঁজে বের করবে।’গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মজীনা। তিনি উপজেলার মেঘনাঘাট এলাকায় বেসরকারিভাবে নির্মিতব্য ৩৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট পাওয়ার লিমিটেডের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।মজীনা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন মার্কিন সরকার প্রত্যাশা করে। এ জন্য দলগুলোর মধ্যে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলই খুঁজে বের করবে।এ সময় মজীনার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত এইচ ই মিশেল মাইকেল ট্রিনকুইয়ে। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহামঞ্চদ আজিজ খান, মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি জেড এ উইলিয়াম ও সারা ফ্রিউলিংক, সামিট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তরিকুল রাশিদ প্রমুখ।মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক প্রবেশপথ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বাণিজ্যিক উন্নয়নের মধ্য অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ একসময় এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।মজীনা বলেন, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার টাইগারে পরিণত হয়েছে। এ দেশে প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে মার্কিন সরকার বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।সামিট পাওয়ার গ্রুপ মেঘনাঘাট এলাকায় ৩৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে এটি উৎপাদনে আসবে। এ কেন্দ্র থেকে ৩৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দিতে ইতিমধ্যে সরকারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি হয়েছে। | 21,338 |
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৪৮ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৪ | অপরাধ,কেরানীগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ | 0 | প্রধান সন্দেহভাজন মোতাহার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/764437 | ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মোতাহার হোসেন (৫৫) র্যা বের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। র্যা ব বলছে, গতকাল সোমবার ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চিতাখোলা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।নিহত মোতাহার শিশু আবদুল্লাহর মায়ের বড় মামা। সেই হিসেবে মোতাহার সম্পর্কে আবদুল্লাহর নানা। নিখোঁজের তিন দিন পর মোতাহারের বাসা থেকেই আবদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর থেকে মোতাহার পলাতক ছিলেন।র্যা ব-১০-এর অধিনায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর সাংবাদিকদের বলেন, গত রোববার রাত থেকে র্যা ব-১০-এর কয়েকজন সদস্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চিতাখোলা এলাকায় টহলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গতকাল ভোরে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা দুটি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দেন। দুটি মোটরসাইকেলে চারজন আরোহী ছিলেন। কিন্তু মোটরসাইকেল আরোহীরা সংকেত না মেনে চলন্ত অবস্থায় র্যা ব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। র্যা ব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালান। গোলাগুলির একপর্যায়ে একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আরোহীর গায়ে গুলি লাগে। এতে ওই আরোহী মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। ওই আরোহীকে ফেলে অন্যরা দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যান। র্যা ব গুলিবিদ্ধ ওই আরোহীকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য একই হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।র্যা ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরও বলেন, নিহত ব্যক্তির মানিব্যাগে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তাঁর নাম মোতাহার হোসেন বলে জানা যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি শিশু আবদুল্লাহ হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন বলেন, ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা নিহত মোতাহারের লাশের সুরতহাল তৈরি করেছেন। মোতাহারের মাথা, বুক ও পেটে তিনটি গুলি লেগেছে।‘বন্দুকযুদ্ধের’ স্থানের আশপাশের কয়েকজন বাসিন্দা সাংবাদিকদের বলেন, ভোরে তাঁরা গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। তবে কে বা কারা করেছে তা তাঁরা জানেন না। মোতাহারের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে শিশু আবদুল্লাহর বাবা বাদল মিয়াসহ এলাকার অনেকেই মর্গে লাশ দেখতে যান।আবদুল্লাহ পরিবারের সঙ্গে কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর মুগারচরের বাসায় থাকত। স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত সে। গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় আবদুল্লাহর নানা মারফত আলী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে আবদুল্লাহকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পরিবারের কাছে কে বা কারা মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠায়। সেখানে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরিবার বিকাশের মাধ্যমে দুই লাখ টাকাও পাঠায়, কিন্তু আবদুল্লাহর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাসা থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে মোতাহারের বাড়ির দোতলা থেকে আবদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি ড্রামের ভেতরে ছিল।এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মোতাহারের ছেলে মেহেদী হোসেন, মেয়ে মিতু আক্তার এবং প্রতিবেশী মো. খোরশেদ ও আল আমিনকে আটক করে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়।কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ জানায়, গত রোববার মেহেদী ও খোরশেদ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গতকাল একই আদালতের মাধ্যমে আসামি মিতুকেও কারাগারে পাঠানো হয়।অন্য আসামি আল আমিনের ব্যাপারে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিনকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া গতকাল মামলায় নতুন করে মো. আব্বাস ও মো. কায়কোবাদ নামের নিহত মোতাহারের দুই প্রতিবেশীকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। | 200,082 |
খুলনা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৫, ০০:৪২ | ১৩ নভেম্বর ২০১৫, ০০:৪৩ | খুলনা বিভাগ,খুলনা,মহানগর,অপরাধ | 0 | খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/681964 | খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সাধারণ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপি ও ভুয়া কার্ডের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা।গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এ অভিযোগ করেন।তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।৬ নভেম্বর খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুগ্ম সম্পাদক পদপ্রার্থী ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন খুলনা-২ আসনের সাংসদ মিজানুর রহমান। কিন্তু নির্বাচনে তিনি উপস্থিত না থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি পক্ষ ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়েছে।ইলিয়াস হোসেন অভিযোগ করেন, ‘টাকার বিনিময়ে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে।’সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলের একটি তালিকা সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। তালিকায় দেখা যায়, কার্যকরী সভাপতি পদে ৬ হাজার ৩০৭টি ভোট গ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে নষ্ট হয়েছে ৯৪ ভোট এবং দুই প্রার্থী পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭৪ ভোট। ভোট গ্রহণ থেকে দুই প্রার্থীর পাওয়া ভোট এবং নষ্ট হওয়া ভোট যোগ করে বাদ দিলে ৩৯ ভোটের গরমিল দেখা যায়। একইভাবে যুগ্ম সম্পাদক পদে ৯৬ ভোটের গরমিল রয়েছে। অন্যান্য পদেও কিছু কিছু গরমিল লক্ষ করা গেছে। তালিকাটিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সদস্যসচিব মোড়ল আনিসুর রহমানসহ চারজন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে।নির্বাচনের ফলাফলে গরমিল থাকার কথা স্বীকার করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব মোড়ল আনিসুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের বিপরীতে ১২টি ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ হয়। ১২টি ব্যালট পেপারের মধ্যে অনেকে ভোট না দিয়ে তা পকেটে করে নিয়ে যান। এ কারণে ভোট গ্রহণের সঙ্গে গণনা ভোটের গরমিল হয়েছে।ভোটকেন্দ্রে ৩০টির বেশি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ছিল দাবি করে তিনি বলেন, ভোট অত্যন্ত নিরপেক্ষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসিত হয়েছে। ভোট গণনার সময় প্রার্থীসহ প্রশাসনের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন। | 173,991 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ মার্চ ২০১৫, ০২:০৭ | ১৭ মার্চ ২০১৫, ০২:১৫ | চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা | 0 | সাবেক ব্যাংকারসহ দুজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/479065 | ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার বিকেলে দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এম এইচ রহমতউল্লাহ বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় এ মামলা করেন।মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন রূপালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম সেনানিবাস শাখার (বর্তমানে বিবিরহাট করপোরেট শাখার সঙ্গে একীভূত) সাবেক ব্যবস্থাপক মো. দেলোয়ার হোসেন ও ব্যবসায়ী সামছুল আলম।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৪ সালের ৩ মে পর্যন্ত বিনা আবেদনে, বিনা জামানতে, অবৈধ ওভারড্রাফটের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক থেকে মেসার্স সামছুল আলম নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এ কাজে শাখা ব্যবস্থাপক মো. দেলোয়ার হোসেন সহযোগিতা করেন। ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সামছুল আলম কিছু টাকা পরিশোধ করলেও শেষ পর্যন্ত ১ কোটি ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬১৮ টাকা পরিশোধ করেননি। পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে এই টাকা তাঁরা আত্মসাৎ করেছেন।মামলার বাদী দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এম এইচ রহমতউল্লাহ জানান, এখন মামলাটির বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে। | 123,753 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ২২:১৭ | ১০ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:২০ | ছবির গল্প,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1056073 | বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ/পর্তুগাল)ফিফপ্রো একাদশ: ম্যানুয়েল নয়্যার, দানি আলভেজ, জেরার্ড পিকে, সার্জিও রামোস, মার্সেলো, লুকা মডরিচ, টনি ক্রুস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডসে আছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনও। তাঁর সঙ্গী সাবেক ইউনাইটেড তারকা ডুইট ইয়র্কতারকাদের মেলায় হাজির রোনালদো-দ্য ফেনোমেনন। গ্রিন কার্পেটে দেখা দিলেন স্যুটেড-ব্যুটেড ম্যারাডোনা। ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফুও আছেন গ্রিন কার্পেটে। কিংবদন্তি কোচ, ফুটবলার, প্রশাসক-কে নেই এই ছবিতে! দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস-এ অংশ নিতে জুরিখ পৌঁছে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকারা। আছেন কোচ জিনেদিন জিদান, উইঙ্গার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোসহ অনেকে।মানুষটার নাম যেহেতু ডিয়েগো ম্যারাডোনা, তাঁকে নিয়ে ভক্তদের মাতামাতি তো এমনই হবে।গ্রিন কার্পেটে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। গ্রিন কার্পেটে দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস-এর উপস্থাপিকা ইভা লংগোরিয়া। গ্রিন কার্পেটে দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস-এর উপস্থাপিকা ইভা লংগোরিয়া।উচ্ছ্বসিত ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বয়স হলেও ম্যারাডোনার জাদু আছে আগের মতোই। কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোস। কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বুড়ো হয়েছেন, কিন্তু রোনালদোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। বান্ধবীর সঙ্গে সার্জিও রামোস। বান্ধবীকে নিয়ে গ্রিন কার্পেটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বর্ষসেরা নারী কোচ: সিলভিয়া নিদ (জার্মানি)বর্ষসেরা পুরুষ কোচ: ক্লদিও রানিয়েরি (লেস্টার সিটি) | 281,488 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০২ আগস্ট ২০১৫, ০০:৪৯ | ০২ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৩ | বিনোদন | 0 | ঘুরে আসুন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/590857 | কালচিত্রের বাহাসহারুন-অর-রশীদের একক চিত্র প্রদর্শনীচলবে ৫ আগস্ট পর্যন্তসময়: সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ও বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টাস্থান: আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা, ২৬ মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা। সফদার: দ্য ম্যান বিহাইনড দ্য বক্স ক্যামেরাআলোকচিত্র প্রদর্শনীআগামীকাল শেষ দিনসময়: বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্তস্থান: লংগিচিউড-ল্যাটিচিউড ৬, প্লট-৯৬, রোড-১১, বনানী, ঢাকা।তাজউদ্দীন আহমদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনীচলবে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্তসময়: দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টাস্থান: গ্যালারি টোয়েন্টি ওয়ান, তাজ-লিলি গ্রিন, লেভেল–১১, ৭৫১ সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা। | 156,965 |
উত্তম মণ্ডল, খুলনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ জুলাই ২০১৫, ০২:১৫ | ০৪ জুলাই ২০১৫, ০২:৩৬ | খুলনা বিভাগ,অপরাধ | null | পোকা ধরা গম নিচ্ছেন না খুলনার মিলমালিকেরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/569440 | ব্রাজিল থেকে আমদানি করা নিম্নমানের গম নিচ্ছেন না খুলনার আটাকল মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, এই গম থেকে দুর্গন্ধযুক্ত আটা তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করলে লোকসানের পাশাপাশি ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।এই অবস্থায় জেলায় সরকারের ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে আটা বিক্রি কার্যক্রম (ওএমএস) মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও অন্যান্য সরকারি প্রকল্পে এসব গমই বিতরণ করা হচ্ছে।খুলনার আটাকল মালিকেরা যে গম কিনতে ও বিক্রি করতে চাইছেন না, তা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ওই গমই, যার নিম্নমানের বিষয়টি পরীক্ষিত। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) খাদ্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় নিম্নমানের এ ফল পাওয়া গেছে। ওই সংস্থার পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমদানি করা এই গমে কুঁচকানো ও ভাঙা দানার পরিমাণ সরকার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি। আর ভাঙা দানার পরিমাণ কয়েক গুণ বেশি। দেশের ১৪টি খাদ্যগুদামের গমের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল পেয়েছে সরকারি সংস্থাটি। এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা গমের আটা অত্যন্ত নিম্নমানের। পুলিশ সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর এসব নিম্নমানের গম ও আটা খাচ্ছেন। এতে তাঁদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।খুলনার আঞ্চলিক চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের (খাদ্য) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এই গমের মধ্যে ৮১ হাজার টন খালাস করা হয়েছে মংলা বন্দর দিয়ে। এর মধ্যে ২৬ হাজার টন খুলনা নগরের মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে (সিএসডি), ১১ হাজার টন খুলনার বয়রা সিএসডিতে, ১৪ হাজার ৭৪৫ টন বরিশাল, ১২ হাজার ৮০০ টন রাজশাহী ও ঢাকা এবং ১৬ হাজার ৩০০ টন খুলনা বিভাগের বিভিন্ন আঞ্চলিক খাদ্য সংরক্ষণাগারে (এলএসডি) সরবরাহ করা হয়েছে।খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন পর্যন্ত ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১২ হাজার ৯২৬ টন গম জেলার দুটি সিএসডি ও আটটি এলএসডিতে মজুত রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে কাবিখা, টিআর ও ভিজিডি খাতে।গত মঙ্গলবার দুপুরে মহেশ্বরপাশা সিএসডিতে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় গম পাঠানোর জন্য গুদাম থেকে ট্রাকে বস্তা বোঝাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি বস্তার মুখ খুলে এই প্রতিবেদক দেখতে পান দানাগুলো পোকায় খাওয়া, খুব সরু, লাল, ময়লাযুক্ত।ইস্টার্ন ফ্লাওয়ার মিলের মালিক মো. তারেক বলেন, ‘গমটা খুবই নিম্নমানের। কিন্তু দামটা তুলনামূলক বেশি। এতে মানসম্মত আটা হচ্ছে না। আটা একে তো লাল, তার ওপর তিতা। ওই গম থেকে আটা বানালে পাবলিক আমাদের পেটাবে।’মহেশ্বরপাশা সিএসডির ব্যবস্থাপক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘অফিশিয়ালি এখন পর্যন্ত গমের ব্যাপারে অভিযোগ আসেনি। তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে পোকা একটু-আধটু লাগতে পারে, তবে তা খাওয়ার অনুপযোগী নয়। এখানে ২৬ হাজার মেট্রিক টন গম ছিল। এর মধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে।’অনুসন্ধানে জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৬ জন ডিলারের মাধ্যমে খোলাবাজারে আটা বিক্রি হয়ে থাকে। ২৭টি আটাকলের মালিক খাদ্য বিভাগ থেকে গম নিয়ে তা ভাঙিয়ে ওএমএস ডিলারদের সরবরাহ করে থাকেন। তারক অ্যান্ড পরশ ফ্লাওয়ার মিলের ব্যবস্থাপক তরুণ কুমার সাহা তাঁদেরই একজন। তিনি বলেন, ‘আমদানি করা নিম্নমানের গমের সরকারি মূল্য কেজিপ্রতি ১৯ টাকা। অথচ একই দামে বাজারে ভালো গম পাওয়া যাচ্ছে। লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে প্রথম দিকে কিছু গম তুলেছিলাম। সেগুলোও ভালো গমের সঙ্গে মিশিয়ে আটা বানিয়েছি।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিতালী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমদানি করা ওই গম খুবই খারাপ মানের। এক দফা গম তুলেছিলাম। পরে আরও ৫৭ টন বরাদ্দ পেলেও তুলিনি। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চাপ দিয়েছিলেন। লোকসান মেনে নেওয়া যায়, তাই বলে মিলের বদনাম তো মানা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, গমগুলো ছোট ও লালচে। ঠিকমতো ভাঙে না, খুদ (ক্ষুদ্র দানা) হয়ে পড়ে যায়। আর যে ভুসিটা হয়, সেটাও গুঁড়া হয়ে যায়। মৎস্যখামারিরা ওই ভুসি নিতে চান না।খালিশপুর নাজমুল ফ্লাওয়ার মিলের মালিক মতি মিয়া বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী মিল কর্তৃপক্ষ এক কেজি গমে ৭৭০ গ্রাম আটা ডিলারদের দেবে। কিন্তু এই গমে আটা হয় ৪০০ গ্রাম। তাহলে কীভাবে ওই গম নেওয়া সম্ভব। লোকসান দিয়ে তো ব্যবসা করা যায় না। এ ব্যাপারে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’খুলনা মহানগর ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মাস দুই আগে মিলারদের কাছ থেকে আমরা ১০০ টন আটা পেয়েছিলাম। দুর্গন্ধযুক্ত ওই আটা বিক্রি করতে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বাজারে সাদা দেশি আটা যেখানে ১৮-১৯ টাকা, সেখানে ওএমএসের নিম্নমানের আটার দর ২২ টাকা। মানুষ ওই আটা কেনে না।’ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত বছর রমজানেও নগরের ৪০ পয়েন্টে ৪০ টন আটা বিক্রি হতো। এবার নিম্নমানের গমের কারণে মিলাররা আটা কিনছে না, আমরাও বিক্রি করতে পারছি না। দুই মাস ধরে খোলাবাজারে আটা বিক্রি বন্ধ থাকায় আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। একই সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চালনা এলএসডি গুদামের একজন কর্মকর্তা জানান, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে নিম্নমানের হওয়ায় এবারের মজুত থাকা গমে কাঙ্ক্ষিত বিক্রয়মূল্য পাওয়া যাবে না। এতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে। কাজের মানও ভালো হবে না।গম নিয়ে অভিযোগের কথা স্বীকার করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেলিমুল আজম বলেন, ‘অন্য জায়গার কথা জানি না, তবে যতটা প্রচার করা হচ্ছে, খুলনা জেলায় আসা গম অতটা খারাপ না। গমের নমুনা গত মাসের মাঝামাঝি অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় গম বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’ | 150,134 |
মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৮ | ২৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:০০ | বিশাল বাংলা | 0 | উপকরণ বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/614824 | চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সরকারের জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ৪৫ জন জেলের মধ্যে গরু, ছাগল ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২৮ জন জেলেকে ১৪টি গরু, ছয়জনকে ১২টি ছাগল ও ১১ জন জেলের প্রত্যেককে একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। গতকাল উপজেলা পরিষদের মায়া বীর বিক্রম মিলনায়তনে মোহনপুর ও জহিরাবাদ ইউনিয়নের জেলেদের মধ্যে এসব উপকরণ বিতরণ করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান। | 163,838 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ২০:০৮ | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ২০:০৯ | ভারত | 0 | কারাগারে লালুকে দেখতে গেলেন রাষ্ট্রপতির ছেলে | http://www.prothom-alo.com/international/article/54043 | অবিভক্ত বিহার রাজ্যের ৯৫০ কোটি রুপির পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ঝাড়খণ্ডের বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান ও ভারতের সাবেক রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। সেই ‘বিহারপতি’ লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারে গিয়েছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে ও কংগ্রেসের সাংসদ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়। তিনি লালু প্রসাদের সঙ্গে কিছু সময়ও কাটান এবং তাঁর খোঁজখবর নেন। তবে লালু প্রসাদের সঙ্গে প্রণবপুত্রের এই সাক্ষাতের মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খুঁজছেন বিরোধীরা। কেউ কেউ মনে করছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লালু প্রসাদকে পাশে পাওয়ার জন্য কংগ্রেসের এই কৌশল। যদিও অভিজিত্ জানিয়ে দিয়েছেন, এই সাক্ষাত্ সৌজন্যমূলক। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল তাঁর পিতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন। সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই তিনি লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। | 22,580 |
কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:২৯ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:২৯ | কালকিনি,মাদারীপুর,উপজেলা পরিষদ নির্বাচন | 0 | বেলা বাড়ার সঙ্গে কিছুটা বেড়েছে ভোটার উপস্থিতি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/151387 | মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন গতকাল বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। সকালের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি কিছুটা বেড়ে যায়।সরেজমিনে দেখা গেছে, কালকিনির কালীনগর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল আটটায়। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তেমন ভোটার দেখা যায়নি। এ কেন্দ্রের মতোই উপজেলার উত্তর রাজদী, দক্ষিণ রাজদী, পাঙ্গাশিয়া, কাশিমপুর, কাজী বাকাই প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, ‘কালীনগর উচ্চবিদ্যালয়ে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। তবে বিকেল নাগাদ ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যায়।’ | 52,827 |
প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৫০ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:১৫ | আইন ও বিচার,ঢাকা বিভাগ,টাঙ্গাইল,জাতীয় পার্টি | 0 | টাঙ্গাইল জাপার সা.সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1556167 | টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকসহ পাঁচজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দলের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম চাকলাদারকে হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবির মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।আদালত সূত্র জানায়, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম চাকলাদার গত ৩ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর থানায় মোজাম্মেল হক, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ শামসুজ্জোহা যুবরাজ, মোজাম্মেল হকের ছেলে মবিন হক এবং জাতীয় পার্টির কর্মী রাজু ও সানির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ আনা হয়।মামলার পর মোজাম্মেল হকসহ ওই পাঁচ আসামি হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের অস্থায়ী জামিন লাভ করেন। দুদিন আগে সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আজ মোজাম্মেল হকসহ পাঁচ আসামি টাঙ্গাইলের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।এদিকে মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর মুক্তির দাবিতে আজ দুপুরে জাতীয় পার্টির একাংশ টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্থানীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে। দলের জেলা শাখার সদস্য মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি মনোয়ারা বেগম, মধুপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এম এ হান্নান ইস্পাহানি, কালিহাতী উপজেলা শাখার সভাপতি আবদুল আজিজ, শহর জাতীয় পার্টির নেতা আহসান খান, শ্রমিক পার্টির আতোয়ার রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। | 375,647 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৯:৩৬ | ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৯:৫২ | ভারত | null | সস্তা ১০ শহরের তালিকায় ভারতের চারটি | http://www.prothom-alo.com/international/article/1117501 | বিশ্বের ১০টি সস্তা শহরের তালিকায় চারটিই ভারতের। এগুলো হলো বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই ও দিল্লি। ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্সের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এ তথ্য।সস্তা শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু। চির বসন্তের শহর ও তথ্যপ্রযুক্তির শহরের খ্যাতির পাশাপাশি সস্তা শহরের তকমাও মিলল বেঙ্গালুরুর।ষষ্ঠ স্থানে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই, সপ্তম স্থানে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই এবং দশম স্থানে ভারতের রাজধানী দিল্লি। শীর্ষ ১০ সস্তা শহরের তালিকায় ঠাঁই পায়নি কলকাতা। বিশ্বের সস্তা শহরের তালিকার শীর্ষে আছে কাজাখস্তান।খাদ্য, পানীয়, বস্ত্র, বাড়িভাড়া, বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিস, গুরুত্বপূর্ণ বিল, বেসরকারি স্কুল, পরিচারিকার বেতনসহ ১০০টি জিনিস বা ৪০০টি পরিষেবা দ্রব্যের মূল্য দেখে এ সিদ্ধান্ত নেয় সমীক্ষক সংস্থা। | 305,472 |
আরিফুল ইসলাম | sports | খেলা | ০৩ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:০১ | ০৩ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:০১ | টি ২০ বিশ্বকাপ ২০১৬,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | মুখোমুখি তাঁরা দুজন | http://www.prothom-alo.com/sports/article/183691 | চাইলে দুজনকে এক ফ্রেমে বাঁধা যায় অনেক জায়গাতেই। দুজনই বেশ আমুদে চরিত্র। ড্রেসিংরুম আর অনুশীলনে দুষ্টুমিতে জুড়ি নেই। বেশ ফ্যাশনসচেতনও। হাতে ট্যাটু, কানে দুল, গলায় বাহারি চেইন-লকেট। চুল নিয়েও নানা সময়ে বিস্তর গবেষণা আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন দুজনই। দুজনেরই দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, অভিযোগ উঠেছে দেশকে উপেক্ষা করে টি-টোয়েন্টি মধু আহরণে ছোটার। দেশকে উৎসবের উপলক্ষও আবার এনে দিয়েছেন দুজন বারবার। তবে ক্ষেত্রটা যখন ওই টি-টোয়েন্টি, দুজন তখনই এক ফ্রেমে সবচেয়ে মানানসই। ক্রিস গেইল আর লাসিথ মালিঙ্গা—দুজনই টি-টোয়েন্টির মুখ!আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে গেইলের চেয়ে বেশি রান করেছেন ৮ জন। মালিঙ্গার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন ৫ জন। তবুও টি-টোয়েন্টির মুখ এই দুজনই। সেটাও মোটামুটি সর্বজনস্বীকৃত। ক্রিকেট মানেই তো শুধু রান আর উইকেটসংখ্যা নয়। রান আর উইকেটগুলো কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে এল, এসব পারিপার্শ্বিকতাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিচারেই বাকিদের ছাড়িয়ে গেইল-মালিঙ্গা। একা ম্যাচ জেতাতে বা মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে জুড়ি নেই দুজনেরই। আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা। মুখোমুখি তাই টি-টোয়েন্টির দুই মুখও।এই বিশ্বকাপ এখন পর্যন্ত খুব ভালো কাটেনি দুজনের কারও। একেবারে নিষ্প্রভ অবশ্যই নন কেউই। গেইল প্রথম ম্যাচে করেছেন ৩৪, পরের ম্যাচে ৪৮। কিন্তু স্ট্রাইক রেট যদি হয় এক শ ঘেঁষা, তাহলে আর তিনি গেইল কেন! পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই কেবল ছিলেন স্বরূপে (৩৫ বলে ৫৩), পাকিস্তানের বিপক্ষে স্টাম্পড ৫ রানে। মালিঙ্গা প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উইকেট মাত্র একটি পেলেও শেষের দিকে টেনে ধরেছিলেন রানের রাশ। পরের ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে ২ ওভার করেই ২ উইকেট। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে আর উইকেটই নেই। তার পরও নিশ্চিত ধরে রাখতে পারেন, কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম মিটিংয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে মালিঙ্গাকে নিয়েই। লঙ্কানদের টিম মিটিংয়ের অনেকটা জুড়ে যেমন নিশ্চিত ছিলেন গেইল!একজন ওপেনার, আরেকজন পেসার। মুখোমুখি লড়াইয়ের মঞ্চও তাই প্রস্তুত। তবে মালিঙ্গাকে যেভাবে ব্যবহার করে শ্রীলঙ্কা, তাতে মুখোমুখি লড়াই না হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। কিংবা হলেও হয়তো খুব দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সাধারণ নতুন বলে ১ ওভার বোলিং করেন মালিঙ্গা। পরে মাঝে কখনো এক ওভার করেন, শেষে দুটি কিংবা টানা তিনটি করেন শেষে। আর গেইলের তো আর সেই স্লগ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকার গ্যারান্টি নেই! আবার কে জানে, গেইল দাঁড়িয়ে গেলে তাঁকে সরাতে বদলেও যেতে পারে মালিঙ্গার ভূমিকা।মুখোমুখি লড়াই হলে সেটি দারুণ রোমাঞ্চকর হবে সন্দেহ নেই। তবে মুখোমুখি না হলেও রোমাঞ্চের অভাব হওয়ার কথা নয়। ব্যাটিং স্টান্স নেওয়া গেইল বা বল হাতে ছুটতে থাকা মালিঙ্গাকে দেখা মানেই গ্যালারিতে কৌতূহলী অপেক্ষা, টিভি পর্দায় আটকে থাকা কোটি চোখ। প্রতি মুহূর্তেই কিছু একটা হওয়ার সম্ভাবনা, শঙ্কা-আশা!দুজনের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর অনেকটা নির্ভর করে দলের জয়-পরাজয়ও। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের সর্বশেষ লড়াইটির কথাই ভাবুন। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রেমাদাসার ফাইনালের স্মারক হয়ে আছে মালিঙ্গার আশ্চর্য ব্যর্থতা। মালিঙ্গার চার বল খেলে সেদিন ২ রান করেছিলেন গেইল। আউট হয়েছিলন ৩ রান করেই। কিন্তু মালিঙ্গার ব্যর্থতা পরে ছাপিয়ে গিয়েছিল সেটিকেও। মারলন স্যামুয়েলসের প্রহারে সেদিন ৫ ছক্কা হজম করে শেষ ৩ ওভারে মালিঙ্গা গুনেছিলেন ৫০ রান। সেই ধাক্কা আর পরে সামলাতে পারেনি লঙ্কানরা। সেদিন ৪ ওভারে দেওয়া ৫৪ এখনো মালিঙ্গার সবচেয়ে খরুচে বোলিং। এই টুর্নামেন্টের কথাই ভাবুন। শ্রীলঙ্কা একটি ম্যাচ হেরেছে সেদিনই, যেদিন ৪ ওভারে ৩১ দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মালিঙ্গা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন আর ততটা গেইলনির্ভর দল নয়। তবে ছন্দে থাকলে জেতানোর জন্য তিনি একাই যথেষ্ট। একটি ‘গেইলীয়’ ইনিংস বোলিংয়ের পাশাপাশি ধ্বংস করে দেয় প্রতিপক্ষের মনোবলও।ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা আজ সম্ভাবনা আর শঙ্কা নিয়ে অপেক্ষায়। বাকি ক্রিকেট-বিশ্ব? রোমাঞ্চের অপেক্ষায়। | 63,011 |
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ মার্চ ২০১৬, ০২:২৬ | ২২ মার্চ ২০১৬, ০২:২৭ | বাউফল,পটুয়াখালী,বরিশাল বিভাগ,নির্বাচন,অপরাধ | 0 | কেন্দ্রে না যেতে হুমকি, শঙ্কিত ভোটাররা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/806551 | ‘ভোট হবে ওপেনে, গোপনে দিতে চাইলে কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।’ সশস্ত্র অবস্থায় এভাবেই স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এবং বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে সাধারণ ভোটাররা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত।আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা এ হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের এ চিত্র পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা, কনকদিয়া, সূর্যমণি, ধূলিয়া, কালিশুরী, চন্দ্রদ্বীপ ও কেশবপুর ইউপিতে।বগা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ইউসুফ বলেন, ‘আজ (গতকাল সোমবার) সকালে সাবুপুরা গ্রামে এজেন্টদের কাছে কাগজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য গেলে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা আমার ওপর হামলা চালায় এবং আমার এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়।’কনকদিয়া ইউপির স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকেরা নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। একই অভিযোগ সূর্যমণি ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জসিম উদ্দিন ফরাজীর। তিনি বলেন, ভোটাররা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত।ধূলিয়া ইউপির বিএনপির প্রার্থী আবদুল জব্বার বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে (২৩ ফেব্রুয়ারি) আমাকে ও আমার কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করা হয়েছিল। ১৯ মার্চ প্রশাসনের সহযোগিতায় এলাকায় ঢুকতে পেরেছি। কিন্তু কোনো প্রচারে অংশ নিতে পারিনি। আমাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এখন ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’কেশবপুর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তসলিম তালুকদার বলেন, ‘কাউকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারিনি। এখন ভোটের এক দিন আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা সশস্ত্র অবস্থায় আমার কর্মী-সমর্থকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে ‘ভোট হবে ওপেনে, গোপনে দিতে চাইলে কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।’চন্দ্রদ্বীপ ইউপির কাশেম দরজি (৪৫) নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থক বলেন, ‘হ্যারা (নৌকার প্রার্থী) এক ভোট পাইলেও বোলে চেয়ারম্যান অইবো। হেইয়ার লইগ্যা আমাগোরে কাইল (আজ মঙ্গলবার) কেন্দ্রে যাইতে মানা কইরা গ্যাছে।’উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগা ইউপিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘উল্লিখিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ তাঁদের কোনো প্রার্থী ও প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি কিংবা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী ও তাঁদের কোনো কর্মী-সমর্থককে হুমকি দেয়নি। বিষয়টিকে তিনি শেষ মুহূর্তের সাজানো নাটক বলে দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ: পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান,গতকাল পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউপি নির্বাচনে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা, মামলার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। | 213,065 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৫২ | ১৩ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৫৩ | বিশাল বাংলা | 0 | বার্ষিক সম্মেলন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/502068 | রসায়নবিদেরাই পারেন জৈব ও অজৈব বিষয়ে গবেষণা করে নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে। এতে বাংলাদেশ শিল্পক্ষেত্রে তাঁরা অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারবেন। গত শনিবার বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির ৩৭তম বার্ষিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ সম্মেলন হয়। সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বার্ড) এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। রসায়ন সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য শরীফ এনামুল কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলী আশরাফ, রসায়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল-নাকিব চৌধুরী প্রমুখ। | 131,019 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জুলাই ২০১৩, ০২:২৯ | ১৬ জুলাই ২০১৩, ০২:৩০ | -1 | 0 | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের পরীক্ষা স্থগিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/24906 | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় সব পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই পরীক্ষার নতুন সময়সূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরে জানানো হবে। উল্লেখ্য, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমকে গতকাল ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ পাল্টাপাল্টি হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী এবং গণজাগরণ মঞ্চ ও বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। | 2,768 |
মাসুদ আলম, কাঠমান্ডু থেকে | sports | খেলা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৫৮ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১০:০১ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | সামনে আজ ভারত-বাধা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/44278 | সকাল থেকেই কাঠমান্ডুর আকাশ থেকে ঝরছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। মহাসড়ক আর অলিগলিতে তবু ব্যস্ততা, কোলাহল। এরই মধ্যে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মন্দিরগুলোয় চলছে প্রার্থনা। অলক্ষ্যে কি প্রার্থনায় মগ্ন নয় দুই ডাচ কোচের বাংলাদেশ-ভারত?এটা বলারই অপেক্ষা রাখছে না। বৃষ্টিস্নাত কালকের সকাল থেকেই দুই দল একটাই প্রার্থনা পেশ করছে সৃষ্টিকর্তার কাছে—‘ম্যাচটা জিতিয়ে দাও।’বাংলাদেশের আকুতিটা সবচেয়ে বেশি। নেপালের কাছে প্রথম ম্যাচে খুব বাজে ফুটবল খেলে ২-০ হার। আজ ভারত ম্যাচটা তাই হয়ে দাঁড়িয়েছে অষ্টম সাফ ফুটবলে টিকে থাকার শেষ সুযোগ।ভারত পরশু পাকিস্তানকে হারিয়েছে ১-০ গোলে। তাই দ্বিতীয় ম্যাচটা বাঁচা-মরার প্রশ্ন নয় ভারতের সামনে। তবে বাংলাদেশকে হারালে সেমিফাইনাল নিশ্চিত—এমন নিরাপদ স্থানে যাওয়ার প্রার্থনা তো ভারত করতেই পারে। আগের ম্যাচের ভারত যে ভারতের মতো খেলতে পারেনি।পাকিস্তান ভাগ্যকে পাশে পেলে বাংলাদেশ-ভারত দাঁড়িয়ে যেত একই কাতারে। ভাগ্যগুণেই পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা পেয়েছে সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পাকিস্তান সবাইকে অবাক করে এত গোছানো আর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলল যে আত্মঘাতী একমাত্র গোলে না হেরে ম্যাচটা তাদের জেতা উচিত ছিল অন্তত ২-৩ গোলে।এটিই আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রেরণা। পাকিস্তান দেখিয়ে দিল, ভারতকে হারানো খুবই সম্ভব। তাই নেপালের বিপক্ষে বিধ্বস্ত লাল-সবুজের দল আজ আর্মড ফোর্সেস মাঠে আত্মবিশ্বাস নিয়েই দিতে চায় মরণকামড়। বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে চারটায় শুরু ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য আছে ঘুরে দাঁড়ানোর কিছু রসদও।চোট কাটিয়ে ফেরা মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে পাওয়া যাচ্ছে এই ম্যাচে। নেপাল ম্যাচে যেমন ২০ হাজারের বেশি দর্শকের চাপে নিজেদের আসল খেলাটাই ভুলে গিয়েছিল বাংলাদেশ, আজ তো সেই দর্শকচাপ নেই। মুক্ত হয়ে খেলার দিন। ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু সাফ গেমসেও তো বাংলাদেশ ২-০ গোলে মালদ্বীপের কাছে হেরে শুরু করে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আজ ইতিহাসের চাকা পেছনে ঘোরাতে চাইবে বাংলাদেশ।কিন্তু ভারত নামটা মানসিকভাবে বাংলাদেশের সামনে এখনো বড় বাধা। দুই দেশের লড়াইয়ে বাংলাদেশের ৯ ড্র আর দুই জয়ের পাশে ভারত জিতেছে ১৫ বার। প্রথম ম্যাচে ভারত ভালো খেলতে পারেনি বলে আজও খারাপ খেলবে, এমন তো না-ও হতে পারে। ভারত জ্বলে উঠলে বিপদের ঘণ্টা কিন্তু বাজবেই।তার ওপর বাংলাদেশ দল সম্ভবত আজও পাচ্ছে না প্লে-মেকার মামুনুল ইসলামকে। মামুনুল না থাকা মাঠে মাঝমাঠে খেলাটা তৈরি করার উপযুক্ত লোক নেই। ভারতের ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড় অনেক। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী একাই গড়ে দিতে পারেন ব্যবধান।সে অর্থে বাংলাদেশের ম্যাচ উইনার আছে একজনই—উইঙ্গার জাহিদ হোসেন। তিনি ছন্দে নেই। নেপাল ম্যাচে জাহিদকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তবে কাল জাহিদ বলছিলেন, ‘ভারতকে হারাতে সবকিছুই আমি মাঠে করব।’ জাহিদকে নিয়ে কোচ ডি ক্রুইফই গোলকধাঁধায়, ‘সে ম্যাচ জেতাতে পারে। আবার খুব বাজেও দিন যায়। ওর খেলার ওপর আমাদের অনেক কিছু নির্ভর করছে।’নিয়মিত অধিনায়ক মামুনুলেরও জাহিদের ওপর অনেক ভরসা, ‘জাহিদ আমার রুমমেট। ওকে অনেক বুঝিয়েছি। ও কথা দিয়েছে। জানপ্রাণ দিয়ে খেলে ভারতকে হারাবে।’ কাল সকালে কাঠমান্ডুর আর্মি স্পেশাল ট্রেনিং ও স্পোর্টস সেন্টারে অনুশীলনের আগে যখন অধিনায়ক মিডিয়ার সামনে, বৃষ্টি ঝরছিল সমানে। ডি ক্রুইফ যখন কথা বলতে এলেন মাথার ওপর ছাতা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দেখা ভারতকে হারানোর ব্যাপারে ডাচ কোচের মুখে আশাবাদী কথাবার্তাই শোনা গেল, ‘ভারতের বিপক্ষে আমাদের তিনটি পয়েন্ট পেতে হবে, এটাই শুধু আমি বুঝি। অন্য কোনো হিসাব নেই।’ সেই ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলতে বাংলাদেশ আসলে কতটা প্রস্তুত?ডি ক্রুইফের জবাব, ‘এটা তো বিস্ময়কর প্রশ্ন। আমরা তৈরি। নেপালের বিপক্ষেও তৈরি ছিলাম। সেদিন হয়নি, এই ম্যাচেও হবে না এমন তো নয়।’ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা দেখে তাঁর যে মানসিক শক্তি বেড়েছে, সেটি বোঝালেন পরের কথায়, ‘ভারতের বিপক্ষে ৪-১ বা ৩-১ গোলে জিততে পারত পাকিস্তান। ওরা সত্যিই আমাকে চমকে দিয়েছে।’ ভারতকে নিয়ে বাক্য বেশি খরচ করতে চাইলেন না বাংলাদেশের কোচ, ‘ভারতের ওপর সবার প্রত্যাশা হয়তো বেশি ছিল। তারা সেভাবে খেলতে পারেনি। এটা হয়তো আমাকে মনোবল বাড়াবে। তবে আবারও বলি, আমাদের তিনটি পয়েন্ট দরকার।’ভারতীয় দল প্রথম ম্যাচে ৩ পয়েন্ট তুলে বেশ ফুরফুরে। সেটির প্রকাশ দলটির চলনবলনেই। তবে কোচ কোভারম্যান অনুশীলনে নামার আগে সতর্ক মন্তব্যই করলেন, ‘বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই। ওরা জিততে মরিয়া। তাই আমরা সতর্ক হয়েই নামব।’অতিসতর্কতা না আবার বুমেরাং হয়, সেই চিন্তাও আছে ভারতীয় শিবিরে। বাংলাদেশের আজ ওই সুযোগই নেওয়ার পালা। সাফের শেষ চারে যেতে আজ একটা অগ্নিপরীক্ষার মুখে ডি ক্রুইফ এবং কোং। | 13,858 |
বান্দরবান প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৩৭ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৩৭ | বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | হামলার শিকার এসআইসহ ৮ পুলিশ বদলি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/310615 | বান্দরবান সদর থানা প্রাঙ্গণে একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) ওপর হামলা ও থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টার ঘটনার দুদিন পর এসআই ও এএসআইসহ পুলিশের আট সদস্যকে বদলি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্র জানায়, সুয়ালকের এক নারী ইউপি সদস্যের অভিযোগের আপস-মীমাংসার জের ধরে গত ২৯ আগস্ট কৃষক লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা এসআই এনামুল হকের ওপর হামলা করেন। অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কৃষক লীগের পৌর সাধারণ সম্পাদক আবুল বশরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবুল বশরের মুক্তির দাবিতে রাতে কৃষক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনার দুদিন পর একজন এসআই (এনামুল হক), তিনজন এএসআই ও চারজন কনস্টেবলকে থানচি ও রুমায় বদলি করা হয়েছে।তবে পুলিশ সুপার (এসপি) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, অন্য কোনো কারণে নয়, স্বাভাবিক নিয়মে তাঁদের বদলি করা হয়েছে। কারও কারও হয়তো অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার বিষয়ও থাকতে পারে।বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমদ বদলির ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, যাঁরা বদলি করেছেন, তাঁরাই বিষয়টি বলতে পারবেন।এসআই এনামুল হক জানান, তাঁর দায়ের করা মামলায় আবুল বশর ছাড়াও যুবলীগের বান্দরবান সদর উপজেলা সভাপতি কবীর আহমেদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তবে আটজনকে বদলির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এসআই এনামুল।এসপি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ভুল-বোঝাবুঝির কারণে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনায় মামলা হয়েছে ও তদন্ত চলছে। | 90,696 |
রাজবাড়ী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মে ২০১৪, ২০:৪৫ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩০ | উপজেলা পরিষদ নির্বাচন,উপজেলা নির্বাচন,আওয়ামী লীগ,নির্বাচন | 0 | বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/212856 | রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলীয়-সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী এ অভিযোগ করেন।নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, বাংলাদেশ হাট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে মাইক্রোবাসে কালুখালী উপজেলায় ফিরছিলেন তিনি। পথে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের গুচ্ছগ্রামের কাছে পৌঁছালে গাছের গুঁড়ি ফেলে তাঁর গতিরোধের চেষ্টা করা হয়। কৌশলে সেখান থেকে চলে এলে চারটি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত তাঁদের ব্যবহূত মাইক্রোবাসটিকে ধাওয়া করে। এ সময় তাঁরা কালুখালী উপজেলা শহরের আওয়ামী লীগের নেতা আলিউজ্জামান চৌধুরী ওরফে টিটো চৌধুরীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা বাড়ির সামনে অবস্থান নিলে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।এ ব্যাপারে কালুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব কুমার দাস অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অস্ত্রধারী কাউকে পাওয়া যায়নি।সম্প্রতি গান্ধিমারা বাজারে নুরে আলম সিদ্দিকীর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুবার ভাঙচুর চালান আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকেরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। | 71,990 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ২০ জুলাই ২০১৬, ০০:৫৬ | ২০ জুলাই ২০১৬, ০৩:০৮ | বিনোদন,টেলিভিশন | 0 | জমে উঠেছে ‘ডিরেক্টরস গিল্ড’ নির্বাচন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/919486 | পোস্টার কিংবা মাইকিংয়ের সুযোগ না থাকলেও জমে উঠেছে নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচনী প্রচারণা। ২২ জুলাই ভোট পেতে সরাসরি দেখা করে প্রার্থীরা যেমন ভোট চাইছেন, তেমনি প্রচারণা চলছে এসএমএস আর ফোন দিয়েও। আর ভোটাররা নানা ধরনের পোস্ট দিয়ে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছেন ফেসবুকে। অনেকেই এই নির্বাচনকে পরিচালকদের একত্র হওয়ার শেষ আশ্রয় হিসেবে নিয়েছেন।নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ যেমন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘শুধু একটি এসএমএস বা ফোনকলের ওপর বিশ্বাস করে কী করে আমরা যোগ্য ব্যক্তিটিকে নির্বাচিত করব?’ আরেক প্রার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নির্বাচনের পরেও যেন এই এসএমএস দেওয়া-নেওয়া, দেখা-সাক্ষাৎ, খোঁজখবর নেওয়া ও অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন থেমে না যায়।’ তাঁদের কথায় ফেসবুকে সায় দিয়েছেন অনেকেই।নির্বাচন নিয়ে কথা হলো সভাপতি পদপ্রার্থী তিনজনের সঙ্গে। অভিনেতা ও পরিচালক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমি একটি ইশতেহার তৈরি করেছি। সেখানে সব বলা থাকবে। সে অনুযায়ী কাজ করব। আর এত দিন সংগঠনটি অতটা গতিশীল ছিল না। সবার আগে একে সচল করতে চাই।’গেল কয়েক বছর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নির্মাতা গাজী রাকায়েত। তিনি এবার লড়ছেন সভাপতি পদে। বললেন, ‘আমি সবার আগে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পর্ক উন্নয়ন করব। কারণ, সবার সম্মিলিত চেষ্টাতেই দেশের মিডিয়ার পরিবর্তন হবে।’সভাপতি পদপ্রার্থী নির্মাতা কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘সবাই যে একত্র হয়েছে, এটি ধরে রাখব। সঙ্গে সবার চাওয়া যাতে পরিপূর্ণ হয়, সেভাবেই কাজ করব।’ডিরেক্টরস গিল্ডের মোট সদস্য ৩৮৪। আটটি পদের জন্য লড়ছেন ৫৩ জন প্রার্থী।২০০২ সালে পরিচালকদের অধিকার রক্ষার জন্য গঠন করা হয় সংগঠনটি। শুরু থেকে তিনবার ‘সিলেকশন’ পদ্ধতিতে কমিটি গঠন করা হলেও এবার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। | 241,811 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ এপ্রিল ২০১৫, ২২:০৫ | ২৬ এপ্রিল ২০১৫, ২২:১৮ | সিটি নির্বাচন,অপরাধ,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | উত্তরায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/513346 | রাজধানীর উত্তরায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হতাহতের খবর জানা যায়নি। এদিকে একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থীর ওপর আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর লোকেরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে এক নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আফছারউদ্দিন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে দুই দিক থেকে ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে আসেন। রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি-রড নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আফছারউদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ভাতিজা অপু ফোন ধরে বলেন, ‘আমরা কিছু করিনি। ওরা আমাদের পেছন থেকে হামলা করেছে।’অপর প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি কোনো অভিযোগ পাইনি।’ পরে এ প্রতিবেদক প্রত্যক্ষদর্শী ও আফছারউদ্দিনের ভাতিজার বরাত দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, মারামারি হয়নি। মৃদু উষ্ণতা তৈরি হয়েছিল, পুলিশ গিয়ে সেটি প্রশমন করেছে।আরেক বিদ্রোহী প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ: একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আফছারউদ্দিনের লোকেরা হামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।মুস্তাফিজুর রহমান রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি তাঁর সমর্থকদের নিয়ে নয় নম্বর সেক্টরে ভোটারদের স্লিপ বিতরণ করতে গেলে আফছারউদ্দিন ও তাঁর লোকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়।হামলার পর ঘটনাস্থলে যান উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর সেলিম। তিনি দাবি করেন, তাঁরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। পরে ঠিক হয়ে গেছে। | 134,184 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৫ | ২১ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৬ | সরকার | 0 | নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ এপ্রিল থেকে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/805351 | আগামী এপ্রিল মাস থেকে নতুন পদ্ধতিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু হবে। নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে অনলাইনে।বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করতে মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এ এম এম আজহার এই চুক্তিতে সই করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এখন থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে অনলাইনে এনটিআরসিএ বরাবর আবেদন করবেন। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলের মেধাতালিকার ভিত্তিতে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ দেবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি কেবল নিয়োগপত্র ইস্যু করবে।সম্প্রতি সরকার শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটির একচ্ছত্র ক্ষমতা খর্ব করে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ে মেধাতালিকা করে সেখান থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএ প্রতিবছর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে চাহিদা অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম করে ফল ঘোষণা করবে। পরে এই মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগের সময় প্রথমে উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে জেলার তালিকা থেকে নিয়োগ করা হবে। তাতেও প্রার্থী না পাওয়া গেলে বিভাগীয় তালিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। | 212,800 |
মো. মিন্টু হোসেন | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫৩ | ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫৬ | খবরাখবর,মোবাইল ফোন | null | স্মার্টফোন কিনলেই উপহার | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1276846 | বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। শুক্রবার ছুটির দিনে অনেকেই মেলায় আসছেন স্মার্টফোন দেখতে ও কিনতে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলায় ছাড়ে মিলছে। মেলা শেষ হচ্ছে কাল শনিবার।মেলায় ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্টলের সামনে ভিড় করে স্মার্টফোন ও ট্যাবের ফিচার দেখছেন দর্শনার্থীরা। অনেকেই কিনছেন পছন্দের স্মার্টফোন। মেলায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টলে বিক্রয়কর্মীরা ক্রেতাদের পণ্য সম্পর্কে তথ্য জানাচ্ছেন।মেলায় ট্যাবের খোঁজে কয়েকটি স্টলে ঘুরছিলেন উজ্জ্বল হোসেন। রামপুরা থেকে আসা উজ্জ্বল জানালেন, ছেলের জন্য ট্যাব কিনবেন। মেলায় এসেছেন ছাড়ে ভালো মানের ট্যাব দেখতে। ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজারের মধ্যে ট্যাব মেলায় দেখেছেন তিনি। একটু ঘুরেফিরে দাম যাচাই-বাছাই করে ট্যাব কেনার ইচ্ছা তাঁর।মিরপুর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে মেলায় এসেছেন রাশেদ। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন দেখছেন। রাশেদ বললেন, এখানে তো নানা দামের ও ধরনের স্মার্টফোন দেখছেন। কিন্তু তার বাজেটের তুলনায় পছন্দের স্মার্টফোনের দাম কিছুটা বেশি। তাই সব স্টল ঘুরেফিরে দেখে পরে কিনবেন বলে জানালেন।মেলাফেরত ক্রেতাদের কাছে স্মার্টফোন বিক্রিসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে রাখছে মেলার আয়োজক এক্সপো মেকার কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার এখন পর্যন্ত মেলায় তিন হাজার তিন শর বেশি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্রি হয় এক হাজার সাত শ।মেলার আয়োজক এক্সপো মেকারের ‘কৌশলগত পরিকল্পনাকারী’ মুহম্মদ খান বলেন, ‘মেলা আজ শুক্রবার জমে উঠেছে। সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক দর্শক মেলায় এসেছেন। মেলায় স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে বিস্তর। মেলায় প্রতিটি ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকেই ছাড় আর উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় এবারের স্মার্টফোন মেলা ভালো হচ্ছে।’মেলায় রয়েছে স্যামসাং, হুয়াওয়ে, সিম্ফনি, উই, অপো, শাওমি, সনি, আসুস জেনফোন, নকিয়া, লাভা, মাইক্রোম্যাক্স, লেনোভো, ডিসিএল, উইনম্যাক্স, গ্যাজেট অ্যান্ড গ্যাজেট, ডিটেল, এডাটা, আজকের ডিলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান।স্যামসাংয়ের তিনটি নতুন স্মার্টফোন এসেছে মেলায়। প্রতিষ্ঠানটির গ্যালাক্সি এস ৮, এস ৮ প্লাস কিনলে পাওয়া যাচ্ছে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড়। গ্যালাক্সি জে ২ কিনলে একটি টি-শার্ট। গ্যালাক্সি জে ৭ ও এ সিরিজের ফোনের সঙ্গে মিলবে ব্যাকপ্যাক। এ ছাড়া রয়েছে টিভি ও ফ্রিজ জেতার সুযোগ। মেলার প্রথম দিনে দুই হাজার টাকায় স্মার্টফোন অফার দিয়ে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে স্যামসাং।চীনের অ্যাপল খ্যাত শাওমির ফ্লাগশিপ ফোন এমআই ৬-এর দেখা মিলছে মেলায়। উপহার হিসেবে হ্যান্ডসেটটির সঙ্গে রয়েছে টি-শার্ট, ওয়াটার পট ও ৫ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ারের পাওয়ার ব্যাংক। এমআই মিক্স কিনলে নিশ্চিত উপহার হিসেবে মিলছে এমআই ব্যান্ড-২ ও ৬ হাজার টাকা মূল্যছাড়। রেডমি ৪এ এবং ৪ এক্স ফোনের সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে ওয়াটার পট। এ ছাড়া মেলায় শাওমির যেকোনো ফোন কিনলে থাকছে স্ক্র্যাচ কার্ড।সিম্ফনির যেকোনো হ্যান্ডসেটে থাকছে ৫ শতাংশ ছাড়। এ ছাড়া হেলিও এস ২৫, এস ২০ এবং এস ১০-এর সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে ব্যাকপ্যাক এবং হেলিও এস ২ মডেলের হ্যান্ডসেটটির সঙ্গে মিলবে টি-শার্ট এবং চাবির রিং। সিম্ফনি জেড ৮ এর সঙ্গে পাওয়ার ব্যাংক, জেড৯-এ ব্যাকপ্যাক এবং সিম্ফনি পি৯-এর সঙ্গে একটি ব্লুটুথ স্পিকার পাওয়া যাচ্ছে। সিম্ফনির অন্যান্য হ্যান্ডসেট মডেলে পাওয়া যাচ্ছে টি-শার্ট ও মগ।আসুসের ফোন কিনলে লটারিতে ঢাকা-কক্সবাজারের এয়ার টিকিট ও পাঁচ তারকা হোটেলে তিন দিন দুই রাত থাকার সুবিধা জেতার সুযোগ রয়েছে। জেনফোন ৩ ম্যাক্স মডেলের ফোনটি কিনলে পাওয়া যাবে ব্যাকপ্যাক। জেনফোন লাইভে মিলবে ১ হাজার টাকা মূল্যছাড় ও একটি গিফট বক্স। জেনফোন গো কিনলে পাওয়া যাচ্ছে টি-শার্ট।লাভা মোবাইলের এ৩, আর ১ এবং এ৩ মিনি মডেলের ফোন কিনলে পাওয়া যাচ্ছে ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার অটোগ্রাফ সংবলিত ব্যাট। এ ছাড়াও থাকছে প্রতিটি স্মার্টফোনের সঙ্গে মূল্যছাড় ও উপহার।অপো এফ থ্রি প্লাস ফোনে উপহার হিসেবে থাকছে ব্লুটুথ স্পিকার। অপো এফথ্রি ও এ৫৭ ফোনের সঙ্গে থাকছে গিফটবক্স। অপোর স্টলে লটারি করে মেলা চলাকালীন প্রতি দুই ঘণ্টায় একজনকে এই স্পিকার দেওয়া হচ্ছে।মেলায় হুয়াওয়ের স্মার্টফোন কিনলে ক্রেতারা পাবেন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ছাড়। হুয়াওয়ে মিডিয়া প্যাড টি১-৭ মডেলের ট্যাব কিনলে পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ টাকা ছাড়, একটি ফ্লিপ কভার ও ১৬ জিবি মেমোরি কার্ড। মিডিয়া প্যাড টি১-৮ ট্যাবের সঙ্গে মিলছে এক হাজার টাকা ছাড়, একটি ফ্লিপ কাভার ও ১৬ জিবি এসডি কার্ড। এ ছাড়া অরিজিনাল অ্যাকসেসরিজে পাওয়া যাচ্ছে ২০ শতাংশ ছাড়।উই ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ নামের একটি বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে ক্রেতাদের। তাদের নির্দিষ্ট মডেলের কয়েকটি স্মার্টফোন কিনে পাওয়া যাবে আরেকটি স্মার্টফোন। এ ছাড়া বিভিন্ন উপহারও রয়েছে তাদের স্মার্টফোনে। মেলায় ৫০০ টাকা ছাড় দিচ্ছে নকিয়া। ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড় রয়েছে ডিসিএলের মোবাইল ফোনে।প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলার প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে টেকশহর ডটকম, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, সিম্ফনি, উই, অপো, শাওমি, সনি র্যাংগস, এডেটা ও পিপলস রেডিও।মেলা উপলক্ষে স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপোর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ‘স্মার্ট চ্যাম্প কুইজ কনটেস্ট’-এর আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিজয়ীরা হুয়াওয়ে, মাইক্রোম্যাক্স, লাভা ও লেনোভোর পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার পাবেন। মেলার তিন দিন সিম্ফনি মোবাইলের সৌজন্যে ‘সেলফি বাজ কুইজ কনটেস্ট’-এ পুরস্কার জেতার সুযোগও রয়েছে। | 330,558 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৩ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৬ | আলাপন | 0 | বইটাও গানের মতো | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1579738 | ভালোবাসা দিবস ঘিরে মুক্তি পাওয়া নতুন গানের সাড়া তো পাচ্ছেন, পাশাপাশি আগামী পয়লা বৈশাখের গান নিয়েও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মিনার রহমান। বইমেলায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রথম উপন্যাস রুদ্র এবং একটি গ্র্যান্ড পিয়ানো। গতকাল গান ও লেখালেখি নিয়ে কথা হলো মিনারের সঙ্গে।গানের জগতে বিচরণ করতে করতে হঠাৎ বই লিখে ফেললেন। কেমন লাগছে? এটা আসলে আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। কীভাবে যে হয়ে গেল। আসলে উপন্যাস লেখা আর গানের কথা লেখা এক নয়। আগে ছোট গল্প লিখেছি। উন্মাদসহ বিভিন্ন জায়গায় কার্টুন এঁকেছি। কিন্তু পুরো উপন্যাস লেখা এবং সেটা বই আকারে প্রকাশ করা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। খুব ভালো লাগছে। এটা প্রকাশ পেয়েছে বর্ষা দুপুর প্রকাশনী থেকে।আপনার উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় কী? মধ্যবিত্তের জীবনের গল্প। তাদের যেটা বড় সমস্যা, অর্থাৎ অর্থনৈতিক সমস্যা, সেটাই উঠে এসেছে বইয়ে। সৃজনশীল মানুষের গল্প আছে এখানে। এই সৃজনশীলতার সঙ্গে টাকার একটা সূক্ষ্ম সম্পর্ক আছে, সেটাই পুরো উপন্যাসে ফুটে উঠেছে। গতানুগতিক কোনো গল্প নয়। বইয়ের অলংকরণ আমি করেছি। প্রচ্ছদটাও আমার করা। বইটা আমার গানের মতোই। আমার বেশির ভাগ গান আমার লেখা ও সুর করা। সে রকম বইটাও।এটা কি আপনার জীবনের কোনো গল্প? না না, আমার জীবনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। একদম মৌলিক গল্প।গানের কী অবস্থা? বই লিখতে গিয়ে গানে মনোযোগ কমে গেল না তো? না। গান তো আমার রক্তে মিশে আছে। ভালোবাসা দিবস ঘিরে বেশ কিছু গান করেছি। এগুলো থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। এখন পয়লা বৈশাখের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর আমার বিশেষ প্রজেক্ট হলো ‘ঠাকুরমার ঝুলি’। গান নিয়ে এটা একটা অন্য রকম প্রজেক্ট হবে। বৈশাখের আগেই এটা প্রকাশ পাবে। এর আগে বিস্তারিত বলব।মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৮-তে আপনি ‘যদি তুমি জানতে’ গানের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। কী মনে হচ্ছে, পুরস্কার পাবেন?মনোনয়ন পেয়েই ভালো লাগছে। এর আগের বছরও পেয়েছিলাম। পুরস্কার পাব কি পাব না, সেটা তো এখনই বলতে পারছি না। ভক্তরা চাইলে পুরস্কার পেতে পারি।শেষ তিন প্রশ্নপছন্দের লেখক হুমায়ূন আহমেদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, নাকি আহসান হাবীব?তিনজনই আলাদা কারণে পছন্দ।ছবি আঁকা, গান গাওয়া, নাকি উপন্যাস লেখা—কোনটা কঠিন? তিনটাই খুব কঠিন।কোন কারণে আপনার ওপর মেয়ে ভক্তরা ‘ক্রাশ’ খায়...(হাসি) আমি ঠিক জানি না।সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক, ঢাকা | 390,924 |
আতহার আলী খান | sports | খেলা | ২৭ এপ্রিল ২০১৫, ১১:৩৭ | ২৭ এপ্রিল ২০১৫, ১৪:২৭ | দেশের ক্রিকেট | null | টেস্টে ভালো করতে হলে... | http://www.prothom-alo.com/sports/article/513988 | ওয়ানডেতে বাংলাওয়াশ, একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যবধানে হারানোর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ-দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। পরিসংখ্যান-রেকর্ড দেখলে বাংলাদেশের জন্য টেস্ট ক্রিকেট বেশ কঠিন। তবে যদি সর্বশেষ ৯ টেস্টের পরিসংখ্যান দেখি, এর মধ্যে তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এই তিনটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তিনটা হেরেছে। এর মধ্যে দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, তাদের মাটিতেই। আর তিনটা ড্র। টেস্টে ‘ড্র’ শুনতে ভালো লাগে। এই তিনটা ড্রয়ের মধ্যে একটি করেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, দুটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কিউইদের বিপক্ষে ওই সিরিজটাও ড্র হয়েছিল। সর্বশেষ চারটা টেস্ট সিরিজের একটি ড্র, একটি জয় ও দুটিতে হার। টেস্টে আসলে প্রথমে ড্রয়ের দিকে নজর দিতে হবে। আমরা হারব না-এ মানসিকতায় মাঠে নামতে হবে। কারণ, আপনাকে পাঁচ দিন লড়তে হবে। আর ড্র হলে তবেই জয়ের সুযোগ তৈরি হবে। মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। যেহেতু বিশ্বকাপ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে, সবাই এর প্রতিফলন দেখতে চাইবে টেস্টেও। পাকিস্তানকে যেভাবে কোনো বিভাগেই দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ, এটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে টেস্টেও। টেস্টে খেলতে হয় সেশন-বাই-সেশন। উইকেটে গিয়ে সেঞ্চুরি করেই চলে এলাম, তা নয়। এখানে ধৈর্য ধরে রাখাটা খুবই জরুরি। থিতু হয়ে গেলে ব্যাটসম্যানদের সেশন-বাই-সেশন খেলতে হবে। কেবল এক প্রান্তে নয়, ভালো খেলতে হবে দুই প্রান্তেই। বড় জুটি গড়তে হবে। এখানে বোলারদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে হবে। অর্থাৎ দুবার অলআউট করতে হবে। এটা করতে পারলেই জয় সম্ভব। এ কারণে বোলারদের কাছে অনেক আশা-প্রত্যাশা। ব্যাটসম্যানরাও দারুণ ফর্মে আছে। তামিম, মুশফিক, সাকিব রান পেয়েছে। ব্যাটসম্যানদের এ ফর্ম টেস্টেও দেখাতে হবে। গত কয়েক সিরিজে বাংলাদেশের বড় পাওয়া মুমিনুল হক। কারও সঙ্গে তাঁকে তুলনা করতে চাই না। কিন্তু টেস্টে মুমিনুলের ব্যাটিং সত্যি অসাধারণ। তবে সে অনেক দিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। দলে আছে, খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তেমন পায়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে একটা প্রস্তুতি ম্যাচে ৫২ রানের পর তাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটা বাদে আর সুযোগ পায়নি। এ কারণে মানসিকভাবে সে চাপে থাকবে। টেস্টে তার যে পারফরম্যান্স, মুমিনুলের কাছে প্রত্যাশা থাকবে অনেক বেশি। আশা করি, চাপ সরিয়ে রেখে টেস্টে সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। খুলনায় সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে গত নভেম্বরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে থাকা পাঁচজন নেই দলে-শামসুর রহমান, শফিউল ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব, আল আমিন ও এনামুল হক। অবশ্য নাসির হোসেন কেন দলে নেই, সেটা অবাক করেছে। খুলনার উইকেট কেমন হবে, এখনো জানি না। কারণ, মিরপুরে নতুন ধরনের উইকেট দেখলাম। জানি না, একই উইকেট খুলনায় থাকবে কিনা। তবে ধারণা করছি, খুলনার উইকেট কিছুটা ধীর গতির হবে। এ অবস্থায় দলে চারটা বিশেষজ্ঞ বোলার লাগবেই। যেহেতু প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুই পেসার, দুই স্পিনার লাগবে। দুই পেসার হিসেবে রুবেল হোসেন ও শাহাদাত হোসেন থাকতে পারে। শুনেছি, শাহাদাত ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেছে। দুজন স্পিনার সাকিব আল হাসান, সঙ্গে বৈচিত্র্যের জন্য জুবায়ের হোসেন থাকবে। তবে জুবায়েরের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স বলার মতো নয়। আমরা জানি, কোচিং স্টাফরা তাকে ভীষণ পছন্দ করে। জুবায়েরের ভেতর দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সে কিন্তু ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছিল। তাকে যেহেতু স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে, কাজেই খেলানো যেতে পারে। ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল, সাকিব, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ। ১০ জন হয়ে গেল। এখন কথা হচ্ছে, বাকি একজন কে হতে পারে? এখানে টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে হবে, একজন বাড়তি স্পিনার খেলাবে নাকি একজন ব্যাটসম্যান নেবে। স্পিনার নিলে তাইজুলের সুযোগ পেতে পারে। তবে মনে করি, চার বোলার থাকলে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দারুণ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকারের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। সাতেও সে ব্যাট করতে পারঙ্গম। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, মুশফিকুর রহিম টেস্টের অধিনায়ক। তার দায়িত্ব কেবল ব্যাটিংয়ে নয়। দলকে একতাবদ্ধ রাখা ও সবার কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনার দায়িত্ব নিতে হবে। টেস্টে যেহেতু পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক, ইউনিস খান খেলবে; অভিজ্ঞতার কারণে এই দুই ব্যাটসম্যান দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের সামনে। এ দুজনকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে পারলে ভীষণ চাপে পড়ে যাবে পাকিস্তান। বোলিংয়ে সাঈদ আজমলও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ওদের ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলীও কিন্তু টেস্টেও ভালো খেলো। বোলিংয়ে পাকিস্তানি পেসাররা এখনো তেমন কিছু করতে পারেনি। ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান-রেকর্ডে টেস্টে পাকিস্তানের অনেকে এগিয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে মানসিকভাবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরাই বেশি চাঙা থাকবে। মনে রাখতে হবে, এটা কিন্তু নতুন বাংলাদেশ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। | 134,502 |
কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ অক্টোবর ২০১৪, ১৩:০২ | ০২ অক্টোবর ২০১৪, ১৭:৪৮ | -1 | 0 | কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/336085 | কুষ্টিয়া শহরের চর মিলপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম বাচ্চু ভূঁইয়া (৪৫)। তাঁর পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী। তিনি দেড় দশক ধরে কুষ্টিয়া শহরে তৈজসপত্রের ব্যবসা করে আসছিলেন। শহরের চর মিলপাড়া এলাকায় থাকতেন তিনি।গতকাল বুধবার রাতের কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা বাচ্চুকে হত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের। আজ সকাল নয়টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বাচ্চুর পরিবারের অন্য সদস্যরা ঢাকায় থাকেন। প্রতিদিনের মতো তাঁর স্ত্রী আজ সকালে তাঁকে ফোন করেন। সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের ফোন করেন তিনি। প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে বাচ্চুর সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে জানান। পরে বাসার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে শৌচাগারের পাশে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ।কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল খালেক বলেন, বাচ্চুর বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে তাঁকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। | 98,106 |
বিবিসি | international | আন্তর্জাতিক | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৪১ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৫৭ | আরব বিশ্ব | 0 | মিসরে গির্জায় বোমা, নিহত ২৫ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1038387 | মিসরের রাজধানী কায়রোয় কপটিক খ্রিষ্টানদের একটি গির্জায় বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কিছুসংখ্যক মানুষ। সাপ্তাহিক প্রার্থনা উপলক্ষে গতকাল রোববার লোকজন সেন্ট পিটার্স চার্চ নামের গির্জাটিতে জড়ো হওয়ার পর সকাল ১০টার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে।কায়রোয় একই প্রাঙ্গণে সেন্ট মার্ক ক্যাথেড্রালের লাগোয়া সেন্ট পিটার্স গির্জা। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, বোমার আঘাতে গির্জাটির ভেতরে আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙেচুরে আছে। পাকা দেয়াল ও থামে বিস্ফোরণের আঘাতের চিহ্ন। জানালা-দরজা ভেঙে গেছে। মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ছাদের আস্তর ও ভেঙে যাওয়া কাচ।নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। এ ছাড়া এদের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জন শিশু।ঘটনার পরপরই গির্জার কাছে হাজার হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী জড়ো হন। তাঁরা সড়ক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার সমর্থনে অনেক উসকানিমূলক বক্তব্য এসেছে।একজন কর্মকর্তা বলেন, ক্যাথেড্রালের যে পাশে নারীরা বসে উপাসনা করেন, সেদিকটায় প্রায় ১২ কেজি ওজনের বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন ইমাদ শুখরি নামের এক ব্যক্তি। তিনি রয়টার্সকে বলেন, যাজক যখন তাঁদের প্রার্থনা শুরু করতে বলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই বিস্ফোরণ ঘটে। এর পরপরই পুরো প্রার্থনাঘর ধোঁয়ায় ভরে যায়। তিনি বলেন, ‘চারপাশে শুধু গোঙানির শব্দ। কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না।’গির্জার বাইরে সমবেত বিক্ষোভকারীরা হামলার বিচার এবং প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সরকার দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে।বিশ্বে ইসলাম ধর্মবিষয়ক অন্যতম শীর্ষ কর্তৃপক্ষ মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। কপটিক ক্যাথলিক ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের হানি বাখুম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ‘উগ্রবাদীরা ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির জন্য এই হামলা চালিয়েছে। আমরা আমাদের ধর্মীয় ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখব।’মিসরের মোট ৯ কোটি মানুষের ১০ শতাংশ অর্থোডক্স কপটিক খ্রিষ্টান। তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, মিসর সরকার তাদের ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে।ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতৃত্বে মিসরের প্রত্যন্ত ও বিরান উত্তর সিনাই এলাকায় জঙ্গিরা তৎপর আছে। সেখানে গত বেশ কয়েক মাসে চোরাগোপ্তা হামলায় কয়েক শ সেনা ও পুলিশ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া কায়রো ও অন্যান্য শহরেও আইএস বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছে।এর আগে শুক্রবারই কায়রো এবং রাজধানীর উত্তরের একটি এলাকায় পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই দুটি বিস্ফোরণে ছয়জন পুলিশ নিহত হয়। মিসরে অতিসম্প্রতি গড়ে ওঠা হাসম নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ওই বিস্ফোরণ দুটির দায় স্বীকার করেছে।সোমালিয়ায় আত্মঘাতী হামলা: সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে গতকাল আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাব এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।পুলিশ কমান্ডার ইব্রাহিম মোহামেদ বলেন, ‘বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। হামলাকারীরা একটি বাজার এলাকাকে বেছে নিয়েছিল।’ তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। | 273,771 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১১ মার্চ ২০১৫, ০৯:১৯ | ১১ মার্চ ২০১৫, ১০:০০ | যুক্তরাষ্ট্র | null | চুপ করে থাকব না: রাফিদা | http://www.prothom-alo.com/international/article/473899 | বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বিজ্ঞানের পক্ষে কথা বলে যাবেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন রাফিদা বিবিসির নিউজআওয়ারকে এ কথা বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন ফুটপাতে খুন হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক অভিজিৎ রায়। আহত হন তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার প্রকৌশলী ছিলেন।বিবিসিকে রাফিদা বলেন, বাংলাদেশে মৌলবাদ গভীরভাবে শিকড় গেড়েছে।নৃশংস হামলায় স্বামীর মৃত্যুর পরও নিজেদের বিশ্বাসের কথা বলে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন রাফিদা। তিনি বলেন, ‘যে কারণে অভিজিৎ মারা গেছেন, আমি চুপ করে থাকব না।’রাফিদা জানিয়েছেন, তিনি ধীর ধীরে সেরে উঠছেন। তবে হামলার মাত্র কিছু স্মৃতি তাঁর মনে আছে।রাফিদা বলেন, ‘কোনো না কোনোভাবে ওই ঘটনার বিষয়ে আমার স্মৃতি পুরোপুরি থমকে গেছে।’অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের ১৩তম দিন পার হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। তবে এ ঘটনায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত হত্যাকারীদেরও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি না থাকায় অভিজিতের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। | 122,034 |
বিবিসি | international | আন্তর্জাতিক | ২৯ অক্টোবর ২০১৬, ০০:২৯ | ২৯ অক্টোবর ২০১৬, ০০:২৯ | ইউরোপ | 0 | শীতল যুদ্ধে ফিরতে চায় না ন্যাটো | http://www.prothom-alo.com/international/article/1009549 | রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ন্যাটো জোট আরেকটি শীতল যুদ্ধ চায় না। তারা রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের বিরোধে জড়াতে চায় না। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন স্টোলটেনবার্গ।মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ বিবিসিকে বলেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক অভিযান চালানো এবং সেখানে রণতরি পাঠানো নিয়ে পাশ্চাত্যের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়লেও তাঁরা দেশটিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন না। স্টোলটেনবার্গ বলেন, সংঘাতের উসকানি দেওয়ার জন্য নয়, বরং সংঘাত ঠেকানোর জন্যই ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত চার হাজার সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে।ন্যাটোর মহাসচিব বুধবারই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রাশিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক তৎপরতা তাদের জোটকে পূর্ব ইউরোপে সেনা সমাগম বাড়াতে বাধ্য করছে।গত শতকের নব্বইয়ের দশকে শীতল যুদ্ধ অবসানের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় নেমে এসেছে। যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা মিত্রদেশগুলো পূর্ব ইউরোপে সবচেয়ে বড় সামরিক উপস্থিতির আয়োজন করেছে। এমন পটভূমিতে ন্যাটোর পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য এল।রাশিয়া ২০১৪ সালে প্রতিবেশী ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ নিজের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মস্কোর ওপর অবরোধ আরোপ করে। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষ নিয়ে দেশটির বিদ্রোহীদের ওপর রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করলে দুই পক্ষের উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হয়। সিরীয় বিদ্রোহীদের অনেককে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে।সম্প্রতি রাশিয়া তার মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র সিরিয়ার উপকূলে স্থায়ী নৌঘাঁটি গড়ার ঘোষণা দেয়। রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রণতরি ন্যাটো দেশ যুক্তরাজ্যের গা-ঘেঁষে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে সিরিয়ার দিকে রওনা হয়েছে। দিন কয়েক আগে রণতরিটি জ্বালানি তেল নেওয়ার জন্য ন্যাটো সদস্য স্পেনে ভিড়তে চেয়েছিল। তবে ওই রণতরি থেকে হামলা চালিয়ে সিরিয়ার বেসামরিক মানুষ মারা হতে পারে বলে ন্যাটো উদ্বেগ জানালে রাশিয়া জাহাজটি স্পেনে ভেড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।বিবিসির প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদদাতা জনথন মার্কাসের মূল্যায়ন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরসূরি রাশিয়া মনে করছে, পশ্চিমারা তাদের দমিয়ে রাখতে চায়। সে কারণেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছেন। এ কারণেই ন্যাটো উদ্বিগ্ন হয়ে রাশিয়ার প্রভাব ঠেকাতে পোল্যান্ড এবং বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশ এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ায় আগামী বছরের শুরুতে এক হাজার করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ার আশঙ্কা, ক্রিমিয়ার মতো তাদেরও রাশিয়া আবার দখল করে নিতে পারে। আর পোল্যান্ডের মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে কালিনিনগ্রাদে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা স্থাপন করায় সে দেশটিও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।ন্যাটোর প্রধান স্টোলটেনবার্গ বিবিসিকে বলেন, ন্যাটোর তৎপরতা রাশিয়ার সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর জন্য নয়। ন্যাটোকে সমন্বিত প্রতিরক্ষার স্বার্থেই এটি করতে হবে। তিনি বলেন, ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে আরও ‘সহযোগিতা ও গঠনমূলক সম্পর্ক’ গড়তে চায়।ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে, তাদের ধারণা রাশিয়া তার পশ্চিম সীমান্তে ৩ লাখ ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে।এদিকে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, শীতল যুদ্ধের পর থেকে পূর্ব ইউরোপে সবচেয়ে বড় সামরিক উপস্থিতির আয়োজন করছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাজ্য বলেছে, আগামী বছরের প্রথম চার মাসের মধ্যেই রোমানিয়ায় বিমানবাহিনীর টাইফুন যুদ্ধবিমান পাঠানো হবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালোন বলেছেন, এস্তোনিয়ায় তাঁরা ৮০০ সেনা পাঠাচ্ছেন। | 260,518 |
সিদ্ধার্থ মজুমদার | life-style | জীবনযাপন | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৩ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৩ | নকশা,জেনে নিন | 0 | একটুখানি কাটা বা পোড়ায় | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/100540 | রান্নাঘরে ঢুকলেই তো আর রান্না হয়ে যায় না। তার জন্য অনেক জোগাড়-যন্ত্র আছে। তরকারি কুটতে হবে, মাছ কিংবা মাংস কাটার ব্যাপার আছে, চুলা জ্বালাতে হবে। আরও কত কী। হররোজ এই কাজগুলো আমরা করতে দেখি বলে কত না সহজ মনে হয়। এই কাজগুলো করতে একটু অসাবধান হলেই কিন্তু বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই যে মাছ, মাংস কিংবা তরকারি কাটাকাটির কথাই ধরুন না, এগুলো কাটতে গিয়ে অসাবধানে কেটে যেতে পারে হাতের রক্তনালিও। কিংবা হাতের মাংসে গভীর ক্ষত হতে পারে। আবার চুলা জ্বালাতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলাটাও বিচিত্র কিছু নয়। বাড়ির এসব দুর্ঘটনায় কী করতে হবে? জানতে কথা বলেছিলাম হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ত্বকবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আফজালুল করিমের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘একটু অসাবধানতায় রান্নাঘরে হাত-পা কেটে যেতে পারে কিংবা পুড়েও যেতে পারে। প্রথমেই সচেতন হতে হবে এবং প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো জেনে নিতে হবে। সবার প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো জানা থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায় বহুগুণ।’কেটে গেলেসত্যি বলতে অল্প কেটে গেলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। যদি কাটা স্থান থেকে অল্প অল্প করে রক্ত বের হয়, অন্য হাত দিয়ে ক্ষতস্থানের ওপরে খানিকটা সময় চেপে ধরে রাখুন, রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া যা যা করতে হবে, তা হলো: কাটা স্থান পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে করে নিন। ক্ষত যদি হাতে হয়, হাতটি উঁচু করে রাখুন, তাড়াতাড়ি রক্ত পড়া বন্ধ হবে। জীবাণুনাশক কোনো তরল দিয়ে কাটা স্থান ধুয়ে দিন। ক্ষতস্থানের সংক্রমণ রোধে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে কাটা স্থানটি ঢেকে দিন। যদি ক্ষতস্থান খুব গভীর হয় এবং একনাগাড়ে রক্ত ঝরতেই থাকে, তবে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।পুড়ে গেলেরান্না করতে কিংবা আগুন জ্বালানোর সময় হাতে আগুনের ছেঁকা লাগলে কিংবা পুড়ে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় যে কাজগুলো আপনাকে করতে হবে: প্রথমেই পোড়া স্থানে প্রচুর পরিমান ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। পোড়া স্থানে দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগিয়ে দিন। সংক্রমণ এড়াতে পরিষ্কার কাপড় কিংবা গজ দিয়ে পোড়া স্থান ঢেকে দিন। পুড়ে ফোসকা পড়ে গেলে, ফোসকা গেলে দেওয়া যাবে না। অনেকেই পোড়া স্থানে টুথপেস্ট লাগিয়ে থাকেন, সেটি করা যাবে না একেবারেই। আর পোড়া যদি বেশি হয়, খুব জ্বলে অবশ্যই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। | 36,461 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:৫৭ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:০৭ | সরকার | null | ৩৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/784414 | ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। আজ সোমবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারের এক হাজার ২২৬ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ ই ম নেছার উদ্দিন (ক্যাডার) প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ৩১ মার্চ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে ২ মে। | 206,105 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৫:২৫ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৬:২১ | সরকার | null | ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/631531 | চলতি অর্থবছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপর আরোপিত সাড়ে সাত শতাংশ মূসক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ সোমবার বেলা তিনটা ২০ মিনিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।এতে বলা হয়, সরকার আশা করে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকবর্গ তাঁদের আন্দোলন বন্ধ করে শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাবেন এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টির সুযোগ দেবেন না।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় বাজেট পাসের সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই মূসকের হার সাড়ে সাত শতাংশ করা হয়। বাজেট পাস হয় জুন মাসে। প্রায় তিন মাস পর এই মূসক নিয়ে কতিপয় ছাত্রছাত্রী আন্দোলনে নেমেছেন। আমাদের দেশে বর্তমানে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ প্রতি ঘরে ঘরে। এবং অনেকেই অতি নির্দিষ্ট সামর্থ্যের মধ্যে ছেলেমেয়ের শিক্ষার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকেন। ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যয়বহুল। শিক্ষা খাত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। তাঁর বিশ্বাস যে জাতিকে শিক্ষা দিলেই দেশের উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা দ্রুতগতি লাভ করে। যারা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক খরচ করে শিক্ষা গ্রহণ করছেন তাঁরা অতিরিক্ত সাড়ে ৭ শতাংশ মূসক দিতে চান না। এ জন্য তাঁরা ক্লাস ছেড়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে জনজীবন বিঘ্নিত করছেন এবং উন্নয়নের যাত্রার পথে বাধা সৃষ্টির সুযোগ করে দিচ্ছেন।এই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার কোনোভাবেই শিক্ষাঙ্গনে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা এবং জনজীবনে অসুবিধারও সৃষ্টি করতে চায় না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এ মূসক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুন:অবরোধ নেই, আন্দোলনে আনন্দের সুর | 168,622 |
অর্ণব সান্যাল | life-style | জীবনযাপন | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:০৩ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:১৪ | ক্যারিয়ার,চাকরিবাকরি | 0 | জীবনবৃত্তান্তে যেসব ভুল হরহামেশাই হয় | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1422356 | চাকরি খুঁজছেন? জীবনবৃত্তান্ত তৈরি তো? খুঁটির জোর না থাকলে চাকরিদাতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ওই দু-তিন পাতার জীবনবৃত্তান্তই কিন্তু একমাত্র ভরসা। আর এই দু-তিন পাতা লিখতে গিয়েই অনেকে ভুল করে বসেন। বিসমিল্লায় গলদে প্রাথমিক বাছাইয়েই বাদ পড়ে যান অনেকে।জীবনবৃত্তান্ত লেখার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ ভুল প্রায় সবার ক্ষেত্রেই হয়। জীবনবৃত্তান্ত নিখুঁত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ, একটি ভুলই নিয়োগকর্তার ভুরু কুঁচকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আসুন জেনে নিই এমনই কিছু ভুলের কথা, যেগুলো শুধরে নিলে পেয়ে যেতে পারেন সাক্ষাৎকারের টিকিট—১. কিছু জানাশোনা আছে?ধরুন, একটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বিজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট পদে লোক চাওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনি ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু না জেনেই গড়পড়তা জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে আবেদন করে বসলেন। এতে আপনার জীবনবৃত্তান্তটি আর প্রতিষ্ঠানের উপযোগী থাকে না। কারণ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কিছু ভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকে। একেক প্রতিষ্ঠানের কাজও ভিন্ন। সুতরাং সেই অনুযায়ী যদি জীবনবৃত্তান্তে পরিবর্তন না আনা হয়, তবে তা নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হয়। তাই একটি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার আগে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন সম্পর্কে জানতে হবে। কিছুটা জানাশোনার পরই আপনি বুঝতে পারবেন, প্রতিষ্ঠানটি আপনার কাজে কোন দক্ষতা ও জ্ঞান চাইছে। সেভাবেই সাজাতে হবে জীবনবৃত্তান্ত। তবেই যোগ্য আবেদনকারীর ছোট্ট তালিকায় নামে দেখতে পাবেন।২. বর্তমান কাজের বর্ণনা ঠিক আছে?বিশ্বায়নের যুগে এক চাকরিতে থাকতে থাকতে আরও ভালো কাজের খোঁজ করা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। সব প্রতিষ্ঠানই অভিজ্ঞ কর্মীদের নিতে চায়। যখন এভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানে নিজের জীবনবৃত্তান্ত পাঠাবেন, তখন অবশ্যই বর্তমান কর্মস্থলে নিজের ভূমিকা উল্লেখ করতে হবে। কেউ কেউ এক বা দুই লাইনে কাজের বর্ণনা লিখে দেন। এর বদলে একটু বিস্তারিত তথ্য দিলে নিয়োগকর্তার বুঝতে সুবিধা হবে।কেউ আবার অনেক কথা লেখেন ঠিকই, কিন্তু তাতে যৌক্তিক বক্তব্য থাকে না। সুতরাং জীবনবৃত্তান্তে কাজের বর্ণনা বা জব ডেসক্রিপশন দেওয়ার সময় কৌশলী হতে হবে। প্রথমে, নিজের বর্তমান কাজ ও প্রতিষ্ঠানে তার প্রভাব সম্পর্কে যৌক্তিক বর্ণনা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, আপনি কোন ধরনের কর্মকর্তার অধীনে কাজ করেন এবং কীভাবে করেন তা জানাতে হবে। এর পর কর্মক্ষেত্রে নিজের লক্ষ্য ও দায়িত্বের জায়গাগুলো স্পষ্ট করতে হবে। শেষ করতে পারেন নিজের পেশাগত অর্জনের কথা জানিয়ে। তবে খেয়াল রাখবেন, বক্তব্য কখনোই ফুলিয়ে বড় করবেন না এবং অতিরঞ্জিত কিছু লিখবেন না।৩. দক্ষতার বর্ণনা আছে তো?জীবনবৃত্তান্তে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে জানানো খুব জরুরি। একজন নিয়োগকর্তা যখন দেখবেন যে আপনার মধ্যে থাকা দক্ষতা ও গুণাবলি তাঁর প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য প্রয়োজন, তখনই আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। সুতরাং নিজের দক্ষতার বিবরণ যতটা সম্ভব স্পষ্ট ভাষায় বোঝাতে হবে।অনেকেই জীবনবৃত্তান্তে নিজের গুণের পরিচয় দিতে গিয়ে সাধারণ কিছু শব্দবন্ধই ব্যবহার করে থাকেন। যেমন কঠোর পরিশ্রমী, সৃষ্টিশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন, মিশুক ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব গড়পড়তা বিশেষণ আদতে নিয়োগকর্তাদের খুব একটা আকৃষ্ট করে না। এর চেয়ে কাজের সংক্ষিপ্ত উদাহরণ দিয়ে নিজের গুণ বর্ণনা করা উচিত।৪. বেশি তথ্য দিচ্ছেন?নিয়োগকর্তারা প্রতিদিন অসংখ্য জীবনবৃত্তান্ত দেখেন। জীবনবৃত্তান্ত বাছাইয়ের জন্য তাঁদের হাতে সময়ও কম থাকে। সুতরাং আপনার জীবনবৃত্তান্ত যদি সাত–আট পৃষ্ঠার হয়, তবে হয়তো তা দেখার আগ্রহই হবে না নিয়োগ কমিটিতে থাকা কর্মকর্তাদের। তাই ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। জীবনবৃত্তান্ত বড়জোর দুই থেকে তিন পৃষ্ঠার হলে ভালো হয়। সেই সঙ্গে শুধু আবেদন করা চাকরির সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলোই জীবনবৃত্তান্তে থাকা উচিত। যদি জীবনবৃত্তান্ত লেখার পর তা বেশি বড় মনে হয়, তবে নিজেকেই প্রশ্ন করুন কোন বিষয়টি অপ্রয়োজনীয়। এরপর গুছিয়ে সম্পাদনা করে ফেলুন জীবনবৃত্তান্তটি।৫. কর্মজীবনে বিরতির ব্যাখ্যা আছে তো?অনেক সময়ই দেখা যায়, কোনো কোনো আবেদনকারীর কর্মজীবনে আছে ছোটখাটো বিরতি। কিছু কিছু সময় বছরখানেকের বিরতিও থাকতে পারে। একে নেতিবাচক ভাববেন না। কিন্তু জীবনবৃত্তান্তে এই বিরতির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ ব্যাখ্যা না থাকলে নিয়োগকর্তা ভেবে বসতে পারেন, আপনি হয়তো শুয়ে-বসেই দিন কাটিয়েছেন! আর তাতে সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বাদও পড়তে পারেন।কর্মজীবনে বিরতির কারণ জানাতে কখনোই দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়। হতে পারে বিরতির সময়টিতে আপনি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেছেন বা ব্যক্তিগত কোনো সৃষ্টিশীল কাজ করেছেন, তবে সেটিই জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করুন। এর ফলে আপনি যে সক্রিয় ছিলেন বা কোনো কাজে জড়িত ছিলেন, সেটি প্রমাণিত হবে। যদি শারীরিক অসুস্থতার জন্য লম্বা সময়ের জন্য বিরতি নিয়ে থাকেন, তবে সেটিও উল্লেখ করুন। মনে রাখবেন, একজন ভালো নিয়োগকর্তা কখনোই অসুস্থতার জন্য আপনার প্রতি বৈষম্য করবেন না।৬. দয়া করে মিথ্যা বলবেন নাকেউ কেউ আছেন, হাজার সত্যের ভিড়ে জীবনবৃত্তান্তে দু-একটা মিথ্যা তথ্য ঢুকিয়ে দেন। মনে রাখবেন, চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের এক দিন। সুতরাং প্রতারণা করলে একদিন না একদিন ধরা পড়বেনই। যদি শুরুতেই ধরা পড়ে যান, তবে শুধু ওই চাকরি নয়, হারাতে পারেন একই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতে দেওয়া সব সুযোগ। আর যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি পেয়েও যান, পরবর্তী সময়ে সেই মিথ্যা যোগ্যতা আপনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেবে সাধ্যাতীত কর্মনৈপুণ্য প্রদর্শনের চাপ। সেই চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হওয়ার চেয়ে সত্য বলাই ভালো।তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও ফোর্বস | 353,638 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:২৬ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:২৬ | বিনোদন,টেলিভিশন | 0 | চলচ্চিত্র | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/771718 | এটিএন বাংলাসকাল ১০-৩৫ ওপারে আকাশ (ফেরদৌস, পপি)।এনটিভিসকাল ৮-৪৫ ঝড়ের পাখি (রাজ্জাক, শাবানা)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ শত্রু শত্রু খেলা (মান্না, মৌসুমী, রাজ্জাক, রেসি)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ হিংসা (জসীম, শাবানা)।গাজী টিভিসকাল ১০-১৫ সান্ত্বনা (আলমগীর, শাবানা)।দীপ্ত টিভিবেলা ১১-৩০ পাওয়ার (মান্না, নিপুণ)।জি বাংলা সিনেমাদুপুর ১২-৩০ চাওয়া–পাওয়া (প্রসেনজিৎ, রচনা)। ৩-৩০ দীপ জ্বেলে যাই (সুচিত্রা সেন, বসন্ত চৌধুরী)। ৬-৩০ যমালয়ে জীবন্ত মানুষ (ভানু)। ৯-৩০ বেঙ্গল টাইগার (মিঠুন)।জলসা মুভিজ (ইন্ডিয়া)সকাল ৮-০০ িদ্বরাগমন (শতাব্দী রায়)। ১২-০০ দুই পৃথিবী (দেব, জিৎ, কোয়েল মল্লিক, বারখা)। ৩-১০ দাদু নাম্বার ওয়ান (ফেরদৌস, রচনা, রঞ্জিত মল্লিক)। ৬-২০ সূর্য (প্রসেনজিৎ, অনু, রঞ্জিত মল্লিক)। ৯-৩০ সেদিন দেখা হয়েছিল (দেব, শ্রাবন্তী)।জি সিনেমা (ইন্ডিয়া)সকাল ৮-২২ কিমত (অক্ষয় কুমার, রাভিনা, সাইফ আলী খান)। ১১-৫১ খুন কা রিস্তা (চিরঞ্জীবী, সুন্দরীয়া, রবি তেজা)। ২-৪১ বোল রাধা বোল (ঋষি কাপুর, জুহি চাওলা)। ৫-৫১ কসম পয়দা করনেওয়ালে কি (মিঠুন, স্মিতা পাতিল, সালমা আগা)। ৮-৩০ গাদার এক প্রেম কথা (সানি দেওল, আমিশা প্যাটেল)।স্টার মুভিজ (ইন্ডিয়া)সকাল ৯-০৭ অ্যালিয়েনস (সিগোর্নি ওয়েভার)। ১১-৫২ এক্সিডাস: গডস অ্যান্ড কিংস (ক্রিশ্চিয়ান বেল)। ২-৪৮ ফ্যান্টাস্টিক ফোর (ক্রিস ইভানস, জেসিকা অ্যালবা)। ২-৫১ ট্রান্সপোর্টার টু (জেসন স্ট্যাথাম)। ৬-৩৬ টার্মিনেটর টু (আরনল্ড শোয়ার্জেনেগার)। ৯-৩০ অ্যাব্রাহাম লিংকন: ভ্যাম্পায়ার হান্টার। ১১-৩৫ ওয়ান্টেড (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি)।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-৫৪ ভূতনাথ রিটার্নস (অমিতাভ বচ্চন)। ১২-১৬ ইয়ে ক্যায়সা কর্জ (নাগার্জুন, নয়নতারা)। ৩-০২ লাকির (সানি দেওল, সুনীল শেঠি, জন এব্রাহাম)। ৬-৪৪ কৃষ্ণ (রবি তেজা, তৃষা)। ৯-২৫ খতরনাক খিলাড়ি (প্রভাষ, আনুশকা শেঠি)।এইচবিও (ইন্ডিয়া)সকাল ৯-৫২ লিমিটলেস (রবার্ট ডি নিরো, ব্র্যাডলি কুপার)। ১১-৫০ জ্যাক রায়ান: শ্যাডো রিক্রুট (কেভিন কস্টনার, ক্রিস পাইন)। ১-৫০ মিশন ইম্পসিবল (টম ক্রুজ)। ৪-০৭ ইন্টারস্টেলার। ৭-১৬ টার্মিনেটর স্যালভেশন (ক্রিশ্চিয়ান বেল)। ৯-৩০ দ্য নভেম্বর ম্যান (পিয়ার্স ব্রসন্যান)। ১১-৩৬ দ্য লেগো মুভি। | 202,652 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ মার্চ ২০১৬, ০২:১২ | ২২ মার্চ ২০১৬, ০২:১৩ | -1 | 0 | জোহাকে তলব করা হয়েছিল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/806401 | ‘বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাজ করেছেন তানভীর’ শিরোনামে ২০ মার্চ প্রথম আলোর তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ স্পষ্টত ঘোষণা দিতে চায় যে কখনোই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সঙ্গে তানভীর হাসান জোহার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো প্রকার যোগাযোগ ছিল না। যে পত্রে ১৬ মার্চের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মর্মে উল্লেখ করা হয়েছিল, সেই পত্রে বিশেষত তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্দেশ্য কী, তা পত্রিকার সংবাদে লেখা হয়নি। ওই সভায় বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য এ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সংশ্লিষ্টদের ছাড়াও অন্য কয়েকজনকে ডাকা হয়েছিল—যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি। তানভীর হাসানকে ডাকা হয়েছিল এ জন্য যে তিনি বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের বিরুদ্ধে নিজেকে কখনো আইসিটির একজন কর্মকর্তা, কখনো গোয়েন্দা সংস্থার একজন, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন। যেহেতু আইসিটিতে তিনি কর্মরত নন বলে আইসিটি বিভাগ পত্র মারফত সবাইকে জানিয়েছে, তাহলে তিনি এসব ভ্রান্ত পরিচয় কেন দিচ্ছেন এবং কেন অপপ্রচার চালাচ্ছেন তা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরাটাই ছিল তাঁকে ওই সভায় তলবের উদ্দেশ্য।প্রতিবাদপত্রে দাবি করা হয়, তলবের বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে, সরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সভায় যে তলব করতে পারে, তা না জেনে অত্র বিভাগের সঙ্গে তাঁর ‘যোগাযোগ ছিল’ বলে মোটা দাগে সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতির পরিপন্থী ও সত্যের অপলাপ।প্রতিবেদকের বক্তব্য: ১৬ মার্চের সভার নোটিশটি প্রথম আলোর কাছে আছে। নোটিশের কোথাও জোহাকে তলবের কথা উল্লেখ নেই। বরং সভায় অংশগ্রহণকারীদের তালিকার শেষে (১৫ নম্বরে) জোহার নাম ছিল। ১৪ মার্চ ওই বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম রায়হান আখতার স্বাক্ষরিত নোটিশের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের অগ্রগতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আগামী ১৬-০৩-২০১৬ তারিখ বেলা ১০:০০ ঘটিকায় এ বিভাগের সভাকক্ষে (ভবন-৭, কক্ষ নং ৪০৭/এ, ৫ম তলা) এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ওই চিঠি সম্পর্কে জানতে প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কেউ সাড়া দেননি।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বছরব্যাপী সাইবার নিরাপত্তা কর্মসূচির সঙ্গে জোহার প্রতিষ্ঠান ইনসাইট বিডি ফাউন্ডেশন যুক্ত ছিল। গতকালও প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে এ কর্মসূচির তথ্য ও ছবি দেখা গেছে। | 213,111 |
অনলাইন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৫ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৫১ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৫২ | ঢালিউড | null | মাহির নতুন ছবি ‘দেশা: দ্য লিডার’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/123478 | ‘দেশা: দ্য লিডার’ নামের নতুন একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এ প্রজন্মের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। গতকাল মঙ্গলবার এফডিসির দুই নম্বর ফ্লোরে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘দেশা: দ্য লিডার’ ছবিটির অভিনয়শিল্পী ছাড়াও প্রযোজক, পরিচালকসহ অন্যান্য কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।মহরত অনুষ্ঠানে মাহি বলেন, ‘নতুন ছবিটি নিয়ে আমি খানিকটা চিন্তিত। হাত-পা রীতিমতো কাঁপছে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী প্রত্যাশিত অভিনয় করতে পারব কি না এই ভেবে।’রোমান্টিক ও অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র ‘দেশা: দ্য লিডার’ পরিচালনা করছেন সৈকত নাসির। এটি তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। শুধু তাই নয়, এই ছবির মধ্য দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে নবাগত শিপনেরও। ছবিটির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন তারিক আনাম খান, সোহেল খান, মঞ্জুরুল করিম প্রমুখ।নবাগত নায়ক শিপন বলেন, ‘এটি আমার প্রথম ছবি। এ সিনেমায় অনেক গুণী শিল্পী অভিনয় করছেন। সবার কাছে দোয়া চাই যেন ভালোভাবে অভিনয়টা করতে পারি।’ ‘দেশা: দ্য লিডার’ ছবিটি প্রযোজনা করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। সংগীত পরিচালনা করছেন শফিক তুহিন। | 43,686 |
লালমনিরহাট প্রতিনিধি| | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জুলাই ২০১৫, ০১:২২ | ০৫ জুলাই ২০১৫, ০১:২৩ | লালমনিরহাট,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | কারেন্ট জাল জব্দ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/569896 | ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল শনিবার লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৪০ কেজি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছেন। একই সময় কারেন্ট জাল বিক্রির দায়ে উপজেলার বড়বাড়ী বাজার এলাকার বাদশা মিয়া (৩৫) এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সিনাই গ্রামের আজাহার আলীকে (৪০) ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। লালমনিরহাটের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন তালুকদার আদালত পরিচালনা করেন। বড়বাড়ী ইউনিয়নের খেদাবাগ আইরখামার গ্রামে এবং বড়বাড়ী বাজার এলাকায় কারেন্ট জাল বিক্রি করার সময় ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে। | 150,461 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ এপ্রিল ২০১৫, ১৮:৩১ | ০৮ এপ্রিল ২০১৫, ২০:০৪ | রাজনীতি | null | বৈঠকে খালেদার বাসায় ফেরাকে স্বাগত জানালেন গিবসন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/498232 | ‘অস্থিরতা কমাতে’ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় ফিরে যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসন। আজ বুধবার যুক্তরাজ্য হাইকমিশেনর এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।আজ বিকেল পাঁচটার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় যান রবার্ট গিবসন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। দীর্ঘ তিন মাস কার্যালয়ে অবস্থান করার পর গত রোববার গুলশানের বাসায় যান খালেদা জিয়া। এরপর আজই প্রথম কোনো কূটনীতিক তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন।বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতি বিএনপির সমর্থন দেওয়া এবং এর মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটারদের প্রকৃত গণতান্ত্রিক সুযোগ করে দেওয়াকে স্বাগত জানান গিবসন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনী প্রচার হবে সহিংসতামুক্ত। পরিপূর্ণভাবে আইন ও বিধিবিধান প্রয়োগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এর আলোকে নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশা করেন।সাধারণত প্রভাবশালী কূটনীতিকদের সাক্ষাতের বিষয় আগে থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। কিন্তু আজকের বিষয়টি আগে থেকে জানানো হয়নি।বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে তাঁর উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন। | 129,499 |
রয়টার্স | international | আন্তর্জাতিক | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৬ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৭ | আরব বিশ্ব | 0 | ‘ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হুমকির জবাব দেবে ইরান’ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1074325 | ইরানের নিরাপত্তায় কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়ালে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে জবাব দেওয়া হবে। দেশটির প্রভাবশালী রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ্ এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে তেহরানের সংবাদমাধ্যম গত শনিবার খবর দিয়েছে।ব্রিগেডিয়ার হাজিজদেহ্ বলেন, শত্রুপক্ষের ক্ষুদ্রতম ভুল পদক্ষেপ দেখলেই তাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানবে ইরান।এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের ওপর নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরদিনই ইরান নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার ব্যবস্থার সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস গতকাল বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা বৃদ্ধির কথা আপাতত ট্রাম্প প্রশাসনের বিবেচনার বাইরে রয়েছে। তবে বিশ্ববাসী ইরানের কর্মকাণ্ডকে ছোট করে দেখবে না। ম্যাটিস ইরানকে বিশ্বে ‘সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক একমাত্র বৃহত্তম দেশ’ আখ্যা দিয়েছেন।নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে লেবানন ও চীনের সঙ্গে ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে।ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এটা ইসরায়েল বা উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোয় আক্রমণে যথেষ্ট। | 290,556 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ আগস্ট ২০১৬, ০১:২১ | ২০ আগস্ট ২০১৬, ০১:২২ | বরিশাল,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | এইচএসসির ফল বিপর্যয় আমতলী ও তালতলীতে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/951736 | বরগুনার দুই উপজেলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলে বিপর্যয় ঘটেছে। আমতলী উপজেলার কলেজগুলোর গড় পাসের হার ৩২ দশমিক ৮২। অন্যদিকে তালতলীর কলেজগুলোর পাসের হার ৪২ দশমিক ৫৭।আমতলীর পাঁচটি কলেজ থেকে এবার ১ হাজার ১৮৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। পাস করেছেন মাত্র ৩৯০ জন।এর মধ্যে আমতলী সরকারি কলেজের ৬৮৬ জনের মধ্যে ২৩১ জন (৩৩ দশমিক ৬৭) পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয়জন। বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের ২১৫ জনের মধ্যে ৭১ জন পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন একজন। এ ছাড়া ইউনুস আলী খান ডিগ্রি কলেজের ১৮৮ জনের মধ্যে ৫৯ জন, সোনাখালী কলেজের ৩৮ জনের মধ্যে ১৫ জন ও টিয়াখালী কলেজের ৬১ জনের মধ্যে ১৪ জন পাস করেছেন। এ তিন কলেজের কেউই জিপিএ-৫ পাননি।এদিকে তালতলীর তিনটি কলেজ থেকে ৪৫১ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। পাস করেছেন ১৯২ জন। তালতলী ডিগ্রি কলেজের ৩৮০ জনের মধ্যে ১৭১ জন, শহীদুল ইসলাম কলেজের ৩৮ জনের মধ্যে ২০ জন ও তালতলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৩ জনের মধ্যে মাত্র একজন পাস করেছেন। এ তিন কলেজের কেউই জিপিএ-৫ পাননি। তালতলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করেনি। এ ছাড়া সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি। এই দুই কারণে এ ফল বিপর্যয় ঘটেছে।’ | 251,584 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ এপ্রিল ২০১৬, ২১:৫৯ | ১৫ এপ্রিল ২০১৬, ২২:৪৫ | -1 | 0 | নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বর্ষবরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/830431 | নয়াদিল্লিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৩। ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। বাংলাদেশ হাইকমিশন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। তিনি বাঙালি সংস্কৃতি ও চেতনার আলোয় উজ্জীবিত হয়ে নতুন দিনের বাংলাদেশ গড়তে এবং বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এরপর নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাঙালি শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি। | 220,418 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ১৩:২৯ | ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৩৬ | নিরাপদ সড়ক আন্দোলন | null | রামপুরায় আ.লীগের মিছিলে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1547541 | রাজধানীর রামপুরায় আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের একটি মিছিলে ধাওয়া দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল থেকে রামপুরা এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড্ডা থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের একটি মিছিল রামপুরার দিকে এলে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে ওই মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।আজ সকালের দিকে রামপুরা ব্রিজের সামনে অবস্থান নেন রামপুরার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। তাঁদের সঙ্গে বনশ্রীর রাজধানী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড্ডা থেকে রামপুরার দিকে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের একটি মিছিল আসে। শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি এসে মিছিলটি থেমে যায়।এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে লাঠি নিয়ে ধাওয়া দিলে আওয়ামী লীগের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় পরিস্থিতি এখন থমথমে। শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আছে। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। | 372,728 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ এপ্রিল ২০১৫, ০২:০১ | ০৩ এপ্রিল ২০১৫, ০২:০২ | মহানগর,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/493633 | প্রথম আলোর মহানগর পাতায় গতকাল বৃহস্পতিবার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ছাদের কার্নিশ ধসে আহত ২’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে প্রকাশিত নিজ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি বলেছেন, হলটি অনেক পুরোনো। হলের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এর আগে বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। তাঁর দাবি, হলের স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এক প্রতিবাদলিপিতে বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে তিনি এ ধরনের বক্তব্য দেননি।প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি, তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে এ কথা বলেছেন। প্রাধ্যক্ষ ছাদের কার্নিশ ধসে পড়ার স্থান পরিদর্শন শেষে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা হলের অভিভাবক হিসেবে তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি তাঁদের এসব কথা বলেন। একাধিক গণমাধ্যমে তাঁর এ বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। | 128,230 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ মার্চ ২০১৬, ০২:০৫ | ১৭ মার্চ ২০১৬, ১৪:০৯ | অপরাধ | null | ঘটনা দ্রুত প্রকাশ হলে অর্থ আটকানো যেত? | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/801514 | ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি হয়। চুরি হওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখায় ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেখান থেকে অর্থের বড় অংশ চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে। আবার ক্যাসিনোতেও সেই অর্থ ছিল আরও ২০ দিন, ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।অর্থ চুরির পুরো ঘটনাটি বাংলাদেশে গোপন রাখা হয়। আর গোপনীয়তার মধ্যেই অর্থ সরিয়ে ফেলা সহজ হয়। ফিলিপাইনে এ ঘটনা তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যের ভিত্তিতে সেখানকার সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা থেকে এ চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অর্থ চুরির পরপরই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশ করা হলে ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে তা আটকে ফেলা যেত কি না—এ প্রশ্নটিও এখন সামনে এসেছে।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জোরালো নানা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি চুরি যাওয়া অর্থ আটকানোর জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে ব্যবহারের সুযোগটি নেওয়া যেত। কিন্তু আমরা কোনোটিই যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। এর ফলে অর্থগুলো সহজে হাতবদল হয়ে সরে গেছে। এখন অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ ও জটিলতর হয়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শুরুতে তৎপর ও কৌশলী হলে এ জটিলতা এড়ানো সম্ভব ছিল। এখন ফিলিপাইন সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সে দেশের অন্য কর্তৃপক্ষগুলো যদি সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত রাখে, তারপরও চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আসতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। সেই সঙ্গে সব অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে।’ফিলিপাইনের দৈনিক ইনকোয়েরার গতকাল বুধবার দেশটির সিনেট কমিটির শুনানিতে উপস্থাপিত তদন্ত প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই তদন্ত প্রতিবেদন ছিল রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) নিজেদের করা। ব্যাংকটির মাকাতি শহরের জুপিটার স্ট্রিট শাখা থেকে চারটি ব্যাংক হিসাব হয়ে চুরির অর্থ বেরিয়ে যায় মূলত ৯ ফেব্রুয়ারি।ইনকোয়েরার-এর প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরসিবিসির কাছে একটি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়, যেখানে ‘অর্থের নগদায়ন বন্ধ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ’ করার অনুরোধ করা হয়েছিল। ওই বার্তা হাতে পাওয়ার দিনই আরসিবিসির জুপিটার শাখার চার ব্যাংক হিসাব থেকে ৫ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকার সমপরিমাণ অর্থ সরিয়ে ফেলা হয়। অথচ ওই দিন দুপুরের আগেই আরসিবিসির প্রধান কার্যালয়ের নিকাশ (সেটেলমেন্ট) বিভাগ থেকেও জুপিটার শাখায় চারটি ই-মেইলের মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। অর্থ সরিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ তদন্তে জুপিটার শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে দায়ী করা হয়েছে।ফিলিপাইনের ইনকোয়েরার পত্রিকাটিতে ১১ মার্চ আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনে আসা ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার রিজাল ব্যাংক হয়ে দেশটির ক্যাসিনোতে (জুয়া খেলার স্থান) ঢুকেছে। দেশটির বিনোদনকেন্দ্র ও ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা ফিলিপাইন অ্যামিউজমেন্ট গেমিং করপোরেশনের (পিএজিসিওআর) এক কর্মকর্তার একটি বক্তব্য প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ২০ দিন ধরে ওই অর্থ সেখানেই ছিল, জুয়ার টেবিলে ব্যবহার হয়েছে। মনে হচ্ছিল সবকিছুই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক কিছুই ছিল না সেখানে। যখন ইনকোয়েরার পত্রিকায় প্রথম প্রতিবেদন হলো, তারপরই কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসল।আন্তর্জাতিকভাবে গণমাধ্যমে এ খবরটি তুলে ধরা হলে তাতে অর্থ আটকে রাখা যেত কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এটি নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে কখনো কখনো এ ধরনের ঘটনায় দেশি-বিদেশি মিডিয়াকে ব্যবহার করে ভালো ফলও পাওয়া যায়। আবার কখনো কখনো তাতে বুমেরাংও হয়। এখন এসে তাই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, ঘটনা জানার পরপর গণমাধ্যমের কাছে তা প্রকাশ করা হলে তাতে সুফল পাওয়া যেত কি না।তবে গোলাম রহমান মনে করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনাটিকে যেভাবে হ্যান্ডেল করা হয়েছে, তাতে পেশাদারত্বের ঘাটতি ছিল।মূলত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের ইনকোয়েরার পত্রিকায় বাংলাদেশ থেকে হ্যাক করে অর্থ চুরির ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ করা হয়। এরপরই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তা প্রকাশ পায়। আর এখন এটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংবাদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই এ নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে।ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোসকে অর্থ পাচারে সহযোগিতার জন্য দায়ী করা হয়েছেবাংলাদেশেও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। একই সঙ্গে দুজন ডেপুটি গভর্নরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে আরও পরিবর্তন করা হবে বলেও সরকার জানিয়ে দিয়েছে।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি (মূলত ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টা) রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনাটি ঘটে।অর্থ চুরির ঘটনার ৪০ দিন পর গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিলিং রুমের (যেখান থেকে লেনদেনের পরামর্শ আদান-প্রদান করা হয়) সুইফট সিস্টেমের ত্রুটি ধরা পড়ে। তবে প্রথমে সেটিকে স্বাভাবিক সমস্যা হিসেবে মনে করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকল্প পদ্ধতিতে সুইফট সফটওয়্যার চালু করে কিছু অননুমোদিত বার্তার বিষয়টি নিশ্চিত হন ডিলিং রুমের কর্মকর্তারা। ওই দিন দুপুরেই ই-মেইল ও ফ্যাক্সের মাধ্যমে অননুমোদিত লেনদেনগুলো স্থগিত রাখার অনুরোধ পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকের কাছে। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনসহ মোট ছয়টি ব্যাংকের কাছে ‘স্টপ পেমেন্ট বা অর্থ পরিশোধ বন্ধ’ অনুরোধ বার্তা পাঠানো হয়।মঙ্গলবার মামলা দায়েরের পর রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সিআইডির একটি তদন্ত দল দিনভর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নেয়।সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান।এদিকে গভর্নরের পদত্যাগ ও দুজন ডেপুটি গভর্নরের অব্যাহতির পর গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকজুড়ে ছিল একধরনের থমথমে পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামগ্রিক পরিবেশে অভিভাবকহীনতার বিষয়টি ছিল সুস্পষ্ট। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনার বিষয় ছিল শীর্ষ পর্যায়ের ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয়টি। তবে গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিবর্তনের পরও ব্যাংকের নিয়মিত কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। | 211,538 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৭ এপ্রিল ২০১৫, ০৮:৪০ | ০৭ এপ্রিল ২০১৫, ০৯:১৯ | -1 | null | কেনিয়াকেই কেন বেছে নিচ্ছে আল-শাবাব? | http://www.prothom-alo.com/international/article/497215 | পুষে রাখা আক্রোশ থেকে কেনিয়ায় বার বার রক্ত ঝরাচ্ছে আল-কায়েদার দোসর আল-শাবাবের জঙ্গিরা। সম্প্রতি কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১৪২ শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১৪৮ জনকে হত্যা করে। এখানেই তারা ক্ষান্ত নয়। ‘আরেকটি রক্তগঙ্গা’ বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে সশস্ত্র জঙ্গিরা ১৪২ শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১৪৮ জনকে হত্যা করে। ১৯৯৮ সালে দেশটির রাজধানী নাইরোবিতে মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার পর এটাই কেনিয়ার সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ। আল-কায়েদার ওই হামলায় ২১৩ জন নিহত হয়েছিল।এর আগে ২০১৩ সালে দেশটির রাজধানী নাইরোবির একটি বিপণিকেন্দ্রে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল আল-শাবাব। ওই বিপণিবিতানটি চার দিন জিম্মি করে রেখেছিল তারা। শেষমেশ আল-শাবাব জঙ্গিরা ১৩টি দেশের ৬২ জন পর্যটকসহ অন্তত ৬৭ জনকে হত্যা করে।হত্যাযজ্ঞের জন্য কেনিয়াকেই বারবার কেন বেছে নিচ্ছে আল-শাবাব? কেনিয়ার সঙ্গে তাদের শত্রুতাইবা কেন? কেন তারা এবারের হত্যাকাণ্ডে বেছে বেছে অমুসলিমকে হত্যা করল?বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল-শাবাব সোমালিয়ার ইসলামপন্থী একটি জঙ্গি সংগঠন। আল-কায়েদার সঙ্গে তারা জড়িত। সংগঠনটি সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দুর্গম গ্রামগুলোতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেছে। গত কয়েক দশকে খরা ও অন্যান্য কারণে অন্তত পাঁচ লাখ সোমালিয়ার নাগরিক শরণার্থী হিসেবে কেনিয়ায় আশ্রয় নেয়। আল-শাবাব জঙ্গিরা আর্থিক ও পারিপার্শ্বিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে এই শরণার্থীদের মধ্যে থেকে বড় একটা অংশকে দলে ভেড়ায়। কেনিয়ার ভেতর সোমালি ও অসোমালি উভয় পক্ষ থেকে আল-শাবাবের দল ভারী হয়ে ওঠে। কেনিয়ার জন্য তারা বেশ হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে ২০১১ সালের অক্টোবরে আল-শাবাব জঙ্গিদের দমন করতে সোমালিয়ায় সেনা পাঠায় কেনিয়া। সোমালিয়ায় কেনিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ ও তাঁদের ওপর নিপীড়নমূলক আচরণ সহজভাবে নেয়নি আল-শাবাব। সুবিধাবঞ্চিত মুসলিম নাগরিকেরাই মূলত সেনাদের দমন-পীড়নের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠীর দাবি, কেনিয়ার সেনারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আদিবাসী সোমালি অঞ্চল এবং দক্ষিণ সোমালিয়ায় ‘মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবর্ণনীয় নৃশংসতা’ চালাচ্ছে। কেনিয়ার সরকার যখন আল-শাবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, এতে সমর্থন দেয় সাধারণ নাগরিকেরা। এ কারণে আল-শাবাবের জঙ্গিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা কেনিয়ায় বড় ধরনের হামলা চালানোর সুযোগ খুঁজতে থাকে। কেনিয়ার জঙ্গি বিরোধী অভিযানে পশ্চিমা সমর্থন রয়েছে বলে তাদের প্রতিও বিদ্বেষী হয়ে ওঠে জঙ্গিরা। পশ্চিমা শক্তিতে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রাধান্য বলে অমুসলিমদের ওপর চাপা রোষ পুষছিল আল-শাবাবের জঙ্গিরা। এর মধ্যে ইসলামিক স্টেটের মদদ রয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়। এসব মিলিয়েই আল-শাবাবের সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞের পটভূমি।গত বৃহস্পতিবার কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর দায় স্বীকার করে আল-শাবাবের মুখপাত্র শেখ আলী মাহমুদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা এবং অমুসলিমদের জিম্মি করার সঙ্গে তাঁর সংগঠনটি জড়িত। জিম্মি হওয়া ব্যক্তিরা খ্রিষ্টান বলে দাবি করে মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের লোকেরা সেখানে পৌঁছে মুসলিমদের মুক্ত করে দেয়। আমরা অন্যদের জিম্মি করে রেখেছি। আমাদের লোকেরা এখনো লড়াই করছে। লক্ষ্য হলো যারা শাবাবের বিরুদ্ধে, তাদের হত্যা করা।’কেনিয়ার হাজার হাজার সেনা আফ্রিকান ইউনিয়নের সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছে উল্লেখ করে মাহমুদ বলেন, কেনিয়া সোমালিয়ার সঙ্গে ‘যুদ্ধরত’। গারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর দুদিন পর কেনিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে আল-শাবাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘তোমাদের সরকার আমাদের মুসলিম ভাইদের হত্যা ও তাদের প্রতি অত্যাচার বন্ধ না করলে এবং কেনিয়ার সব মুসলিম অঞ্চল স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই আমাদের প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ওই সময় পর্যন্ত কেনিয়ার শহরগুলো রক্তে লাল হতে থাকবে। এটা হবে দীর্ঘ মেয়াদি ভয়াবহ যুদ্ধ।’ | 129,260 |
রাজশাহী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৩৮ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৫১ | -1 | 0 | দাবি মেনে মুক্ত হলেন রাজশাহীর উপাচার্য | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1074777 | রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ন্যূনতম ‘৩৩ ক্রেডিট’ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকার পর আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে এই পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে অবরোধমুক্ত হন উপাচার্য রফিকুল আলম বেগ।অবরুদ্ধ অবস্থায় আজ বেলা সাড়ে ১০টা থেকে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে বসেন উপাচার্যসহ শিক্ষার্থীরা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য আমরা ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি চালু করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলনের ফলে ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীদের স্থগিতকৃত একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু এবং টিনশেড হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।’শিক্ষার্থীরা গতকাল শনিবার থেকে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছিলেন। গতকাল বেলা দুইটা থেকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। রাতভর তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে দুই সেমিস্টারে বাধ্যতামূলক ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জন করতে হয়। অন্যথায়, তাঁকে পুনরায় সেই বর্ষেই থাকতে হবে। এর আগে নিয়ম ছিল, কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা অনুপস্থিতির কারণে ন্যূনতম ক্রেডিট অর্জন না করলেও পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারত। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে তাঁকে পরীক্ষা দিয়ে ওই ক্রেডিট অর্জন করতে হতো। তবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়।এই ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। টানা চার দিন আন্দোলনের পর ৩১ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। পরে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে টিনশেড হলে অবস্থানরত আন্দোলনকারী ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।আরও পড়ুন:রাজশাহীতে উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ | 290,347 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:৫২ | ১৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:৫৩ | -1 | 0 | পুলিশ নেয়নি, সাত দিন পর আদালতে মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1145341 | সিলেটে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাসায় হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার এক সপ্তাহ পরও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করা হয়েছে।মিজান চৌধুরীর বড় ভাই কুতুবুর রহমান চৌধুরী সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন।মামলার আইনজীবী শওকত চৌধুরী জানান, কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ মামলা নেয়নি—এ বিষয়টি আদালতে দাখিল করা মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানাকে।এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন জানান, গতকাল বিকেল পর্যন্ত আদালতের নির্দেশনা থানায় পৌঁছায়নি। অভিযোগ দেওয়ার পরও মামলা না নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।’ থানায় অভিযোগ দাখিলের সিল কপি বাদীর কাছে সংরক্ষিত আছে বলে জানালে তিনি বলেন, ‘এটিও জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখব।’ মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে ৬ এপ্রিল রাতে নগরের ফাজিলচিস্ত এলাকায় মিজান চৌধুরীর বাসায় হামলা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এ সময় তাঁরা বাসার সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে গ্যারেজে রাখা দুটো পাজেরো জিপ, দুটো মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে বাসার দরজা-জানালাও ভাঙচুর করেন তাঁরা। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। মামলার বাদী জানান, ঘটনার পরদিন সিলেট কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ ছাত্রলীগের নাম থাকায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেনি।মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাসায় হামলার ঘটনায় নগর ও জেলা বিএনপির নেতারা ঘটনাটিকে ‘সিলেটে দীর্ঘদিনের লালিত রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিনষ্ট’ বলে উল্লেখ করে নানা কর্মসূচি পালন করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর আদালতে মামলা করা প্রসঙ্গে মিজান চৌধুরীর অভিযোগ, হামলার সময় পুলিশকে ফোন করলে ‘ব্যস্ত আছি’ বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরদিন থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। তিনি জানান, আদালতে দাখিল করা মামলার এজাহারের সঙ্গে অজ্ঞাত আসামিদের শনাক্ত করতে হামলার আগে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। | 311,403 |
প্রতিনিধি, লন্ডন | international | আন্তর্জাতিক | ১৬ মার্চ ২০১৯, ২৩:১৬ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ২৩:১৮ | ব্রেক্সিট,যুক্তরাজ্য,ইউরোপ | 0 | সংকটে সুযোগ দেখছেন থেরেসা মে | http://www.prothom-alo.com/international/article/1583814 | ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করতে গিয়ে গলদঘর্ম যুক্তরাজ্য। দেশের ভবিষ্যৎ প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো অনৈক্য আর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত। সরকারের মন্ত্রিসভায়ও ব্রেক্সিটের কৌশল নিয়ে মতবিরোধ স্পষ্ট।এমন অনৈক্যের ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। অন্যদিকে চুক্তি ছাড়া বিচ্ছেদ কার্যকরের জন্যও সমর্থন পাননি। ফলে গত আড়াই বছর ধরে চলা ব্রেক্সিট কার্যকরের সব চেষ্টাই এখন পর্যন্ত ফল শূন্য। তাই ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হবে বলে যে দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে, শেষ সময়ে এসে তা পিছিয়ে দেওয়ার আলোচনা শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে।ইউরোপের ২৮টি দেশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সদস্যভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য করে। নাগরিকেরা সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে অবাধে চলাচল করতে পারে এবং পূর্ণ নাগরিক অধিকার ভোগ করে। দেশগুলো কৃষি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, নাগরিক অধিকার এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ অনেক কিছুতে একক নিয়ম মেনে চলে। ১৯৭৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্য এই জোটের সদস্য।কোনো দেশ চাইলে এই জোট ছেড়ে যেতে পারে। লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদে জোট ত্যাগের উপায় বলা আছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জোট ত্যাগের আনুষ্ঠানিক আবেদন জানানোর পর থেকে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে সম্পর্কের অবসান ঘটবে।সংশ্লিষ্ট দেশ চাইলে সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্ক গুটিয়ে নিতে পারে। অথবা চুক্তি ছাড়াই সম্পর্কের অবসান হবে। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্য বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায়। ২৯ মার্চ সেই আবেদনের দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে। ইইউর ইতিহাসে যুক্তরাজ্য প্রথম কোনো দেশ যারা এই জোট ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।চুক্তি ছাড়া সম্পর্কের অবসান যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ধস নামাবে বলে আশঙ্কা। এটি ইইউর জন্যও ক্ষতিকর। তাই ক্ষতির পরিমাণ কমাতে দীর্ঘ দুই বছর ধরে উভয় পক্ষ একটি চুক্তি সম্পাদনে চেষ্টা চালাচ্ছে।গত নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মে ইইউর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছান। ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে যুক্তরাজ্যের সংসদ ২৩০ ভোটের ব্যবধানে সেই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে। চুক্তিতে উল্লেখিত বিচ্ছেদ–পরবর্তী আয়ারল্যান্ড সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে অধিকাংশ আইনপ্রণেতার আপত্তি।ইইউ জোটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের একমাত্র স্থলসীমা আয়ারল্যান্ড সীমান্ত। ১৯৯৮ সালে সম্পাদিত এক দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে স্বাধীন আয়ারল্যান্ড এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্তে কোনো তল্লাশিচৌকি না বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য ব্রেক্সিট চুক্তিতে বলা হয়েছে, আয়ারল্যান্ড সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার বিকল্প কোনো উপায় না পাওয়া গেলে যুক্তরাজ্যের অংশ নর্দান আয়ারল্যান্ড ইইউ আইনের অধীনে থাকবে। এটিকে বলা হচ্ছে ‘বেকস্টপ’ ব্যবস্থা। ‘বেকস্টপ’ ব্যবস্থার বিরোধী ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা বলছেন, এটি নর্দান আয়ারল্যান্ডকে যুক্তরাজ্যের বাকি অংশ থেকে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।নর্দান আয়ারল্যান্ডের আঞ্চলিক দল ডেমোক্রেটিকস ইউনিয়নিস্ট (ডিইউপি) পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকারে আছে কনজারভেটিভ দল। ডিইউপি বেকস্টপ ব্যবস্থার ঘোর বিরোধী। একইভাবে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের কট্টর ব্রেক্সিটপন্থীরাও এই বেকস্টপ ব্যবস্থার বিরোধী।বেকস্টপ ব্যবস্থা চিরস্থায়ী হবে না, এমন প্রতিশ্রুতি আদায় করে ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মে চুক্তিটি আবারও সংসদে তোলেন। কিন্তু তা সমালোচকদের কাছে যথেষ্ট মনে হয়নি। এদিন ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যাত হয়। কনজারভেটিভ দলের ৭৫ জন এবং ডিইউপির ১০ জন সাংসদ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন।এরপর গত বুধবার এক প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে আইনপ্রণেতারা জানিয়ে দেন কোনো অবস্থাতেই তাঁরা চুক্তি ছাড়া বিচ্ছেদ চান না। পরদিন বৃহস্পতিবার আরেক ভোটাভুটিতে বিচ্ছেদের সময় পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দেন আইনপ্রণেতারা। এসব ভোট ছিল কেবল মতামত যাচাইয়ের জন্য, যার ফলাফল মানতে বাধ্য নয় সরকার। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সংসদের এসব মতামত উপেক্ষা করা প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রায় অসম্ভব।প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, বিচ্ছেদের সময় পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানোর আগে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আবারও সংসদে ভোটাভুটির আয়োজন করবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে সুযোগের সম্ভাবনা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী মে। সে কারণেই দুই দফা প্রত্যাখ্যাত হওয়া চুক্তি নিয়ে আবারও ভোট চাইছেন। কেননা, চুক্তিটি আবারও প্রত্যাখ্যাত হলে বিচ্ছেদ দীর্ঘ সময়ের জন্য পিছিয়ে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে পুনরায় গণভোট কিংবা মধ্যবর্তী নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ার মতো ঝুঁকি বাড়বে। চুক্তির সমালোচক ব্রেক্সিটপন্থীরা ওই পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া এড়াতে এবার মের চুক্তিতে সমর্থন দেবেন বলে ধারণা।২১ থেকে ২৩ মার্চ ইইউ সম্মেলন। এর আগেই চুক্তি অনুমোদন প্রশ্নে তৃতীয় ভোটাভুটির আয়োজন করতে চান প্রধানমন্ত্রী। চুক্তির বিরোধী ব্রেক্সিটপন্থী আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যে তাঁদের সুর নরম করেছেন। তাঁরা চুক্তিতে সমর্থন দেওয়ার উপায় খুঁজতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, চুক্তিতে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে মের পদত্যাগ চান। যাতে ব্রেক্সিটপন্থী কোনো প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণের আলোচনায় নেতৃত্ব দিতে পারেন।তবে বিচ্ছেদের সময় যে পিছিয়ে যাবে, সেটি এখন অনেকটা নিশ্চিত। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ব্রেক্সিট চুক্তি পাস হলে ৩০ জুন পর্যন্ত বিচ্ছেদ পেছানোর প্রয়োজন হতে পারে। আনুষঙ্গিক আইন পাস করিয়ে নেওয়ার জন্য এ বাড়তি সময়ের প্রয়োজন পড়বে। আর চুক্তিটি পাস না হলে নতুন করে সমঝোতার প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ অন্তত ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে হবে বলে আলোচনা আছে।ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, আগামী মে মাসের মধ্যে সম্পর্ক গুটিয়ে না নিলে ওই মাসে অনুষ্ঠেয় ইইউ নির্বাচনে যুক্তরাজ্যকে অংশ নিতে হবে। ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন করে ভাবতে চাইলে ইইউ বিচ্ছেদের সময় বাড়াতে রাজি।কিন্তু সময় বাড়ালেই যে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা ব্রেক্সিট নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবেন, সেটি হলফ করে কেউ বলতে পারছেন না।২০১৬ সালের ২৩ জুন অনুষ্ঠিত এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের মানুষ ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেয়। মাত্র ৪ শতাংশের ব্যবধানে (৫২ বনাম ৪৮ শতাংশ) বিচ্ছেদপন্থীদের জয় হয়। শীর্ষ রাজনৈতিক মহলে অপ্রত্যাশিত সেই রায় যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে বিভক্তির বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়। গণভোটে ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ফলে জনগণের দেওয়া বিচ্ছেদের রায় মেনে তিনি পদত্যাগ করেন। গণভোটের রায় কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন থেরেসা মে। কিন্তু শুরু থেকেই বিচ্ছেদ কার্যকরের কৌশল নিয়ে নিজ দলেই হোঁচট খাচ্ছেন তিনি। ব্রেক্সিট নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে গত দেড় বছরে ৯ জনের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। সব বাধা উপেক্ষা করে অনেকটা এককভাবে ব্রেক্সিট সমঝোতা চালিয়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মে।বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী মের সম্পাদিত চুক্তির সমালোচনা করলেও এর বিকল্প উপস্থাপনে ব্যর্থ। লেবার পার্টি ব্রেক্সিটের যে বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে আসছে, সেটি সংসদে একাধিকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। | 393,951 |