author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ মে ২০১৭, ০৩:৩৬
১৮ মে ২০১৭, ০৩:৩৭
-1
0
ধামরাইয়ে আগুনে ঝলসে গেল তরুণীর শরীর
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1184341
ঢাকার ধামরাইয়ে শিউলী আক্তার নামের এক তরুণী আগুনে ঝলসে গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিউলী বলছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে। শিউলী (২০) ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের বেলদাহ গ্রামের জহির উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ধামরাইয়ের চরডাউটিয়া গ্রামের শহীদ মিয়ার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। শিউলী মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় অগ্নিদগ্ধ হন। রাতেই তাঁকে সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কে বা কারা শিউলীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যান। তাঁর গলার নিচ থেকে শরীরের অন্তত ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, গতকাল সকাল পর্যন্ত তাঁর কোনো স্বজন না আসায় তিনি আশুলিয়া ও ধামরাই থানাকে বিষয়টি জানান। এরপর দুই থানার পুলিশ তদন্তে নামে।গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলী প্রথম আলোকে বলেন, সুমন চৌধুরী নামের এক ছেলে তাঁকে উত্ত্যক্ত করত। তিনি (শিউলী) তাদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। পাত্তা না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাতে সুমন তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় জানালা দিয়ে তাঁর শরীরে আগুন ধরানো হয়েছে। আগুনের তাপে জেগে উঠে তিনি জানালা দিয়ে সুমনকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন। ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘অনুসন্ধান করে গতকাল বিকেলে সুমনের বাড়ি খুঁজে বের করা হয়। সে বাড়ির মালিক শহীদ মিয়ার ছেলে। সুমনের বয়স ১১–১২ বছর হবে। তার বিরুদ্ধে মেয়েটি যে অভিযোগ করছেন, তা সত্য নয় বলে মনে হচ্ছে।’শহীদ মিয়া বলেন, মেয়েটি মাস দেড়েক আগে তাঁর বাসা ভাড়া নেন। ভাড়া নেওয়ার সময় স্বামী থাকার কথা বললেও একা থাকায় ১৫ দিন আগে তাঁকে বিদায় করে দেওয়া হয়। দিন সাতেক আগে তাঁর অনুরোধে তাঁকে আবারও বাসা ভাড়া দেওয়া হয়। তিনি বলেন, মেয়েটি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এ কারণে রাত দেড়টার দিকে তিনি ভাত রান্না করছিলেন। রান্নার সময় তাঁর কাপড়ে আগুন ধরে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ছেলে মেয়েটির শরীরে আগুন ধরায়নি। ঘটনার পর হাসপাতালে অবস্থান না করা এবং পুলিশকে না জানিয়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।ধামরাই থানার ওসি রিজাউল হক বলেন, রান্নার সময়ই তাঁর শরীরে আগুন ধরে থাকতে পারে। তিনি বলেন, গতকাল বিকেলে বাড়ির মালিক শহীদের মাধ্যমে শিউলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
318,108
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
০৩ জুন ২০১৯, ০০:২২
০৯ জুন ২০১৯, ১১:১২
ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল,বাংলাদেশ ক্রিকেট
null
আপনার চোখে বাংলাদেশের ১১ জনের পারফরম্যান্স
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1597474
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। দলের সবার প্রয়াসেই এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানের জয়। এ ম্যাচে দলের ১১ জনের পারফরম্যান্স সমর্থকদের কার কেমন লেগেছে? সবাই কি পাস নম্বর পেলেন, কারও পারফরম্যান্সে আরও উন্নতি দেখতে চান কি না—সেসব মতামত এখানেই জানিয়ে দিন।
404,785
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৮ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪০
১৮ এপ্রিল ২০১৬, ০২:১৪
বিনোদন,টেলিভিশন
null
নিশোর মডেল মেহ্জাবীন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/832597
সায়েম প্রথম যেদিন জারাকে দেখে, সেদিনই তার মধ্যে কিছু একটা ঘটে যায়। এমন রূপবতী মেয়ে সে আগে কখনোই দেখেনি। চেষ্টা এখন একটাই, কীভাবে পছন্দের মেয়েটিকে কাছে পাওয়া যাবে। একটা উপায়ও জুটিয়ে ফেলে সায়েম। ফটোগ্রাফার সেজে জারার ছবি তুলতে থাকে সে। এ রকমই কাহিনি নিয়ে তৈরি নাটকটির নাম জান্নাত। নাটকটিতে সায়েম চরিত্রে দেখা যাবে আফরান নিশোকে। জারার চরিত্রে অভিনয় করছেন মেহ্জাবীন চৌধুরী।নাটকটি পরিচালনা করেছেন সজল আহমেদ। নিশো বলেন, ‘আগামী ঈদের জন্য তৈরি হয়েছে নাটকটি। নাটকটির গল্প একটু ভিন্ন রকমের প্রেম নিয়ে। গল্পের পরিণতিটাও ভিন্ন রকমের হবে।’
221,331
-1
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১৪
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:১৪
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,মহাকাশ
0
খনিজের সন্ধানে, গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
http://www.prothom-alo.com/technology/article/763873
ঠিক এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষের নাম বিল গেটস। তাঁর সম্পদের পরিমাণও ১০ হাজার কোটি ডলারের অনেক নিচে। কিন্তু আজ আপনাকে এমন এক কৌশল বলতে পারি, যা মেনে চললে আপনার সম্পদের হিসাবটা হবে ট্রিলিয়ন ডলারে।‘বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে হলে আপনাকে গ্রহাণু থেকে খনিজ আহরণ করতে হবে।’ জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী নিল টাইসনের কথা এটি। তাঁর সে কথা যদি সত্যি হয় তবে পশ্চিম ইউরোপের ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গ ভাসবে অর্থের অথই সমুদ্রে। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী এটিয়েন শ্নাইডার সম্প্রতি জানিয়েছেন, গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েড খননকারী প্রতিষ্ঠান ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং প্ল্যানেটরি রিসোর্সের সঙ্গে কাজ করবে তাঁর দেশ। সেটা অবশ্যই অ্যাস্টেরয়েড থেকে খনিজ আহরণের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য, মহাশূন্যে ভাসমান পাথরের এই খণ্ডগুলো থেকে সম্পদ আহরণের দ্বার উন্মোচন করা, যা আগে কখনো করা হয়নি।’২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক গবেষণাকেন্দ্র ঘুরে দেখার পর থেকেই শ্নাইডার খনিজ নিয়ে আলোচনা করে আসছেন। অবশ্য অ্যাস্টেরয়েড খননের কাজ কিন্তু এটাই প্রথম না। মহাশূন্যে খনিজ আহরণের সম্ভাবনা জানতে চলতি বছর ‘অসিরিসি রেক্স’ শিরোনামে এক অভিযান পরিচালনা করবে নাসা। ১০০ কোটি ডলার বাজেটের এ যাত্রায় বড়জোর ৬০ গ্রাম খনিজ পদার্থ সঙ্গে আনতে পারবে এই মহাকাশ যান।কোটি কোটি ডলার আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও খরচটাও কিন্তু কম না। প্রতি অভিযানে গড়পড়তা খরচ পড়বে প্রায় ২৬০ কোটি ডলার। অবশ্য খরচ হওয়া এ টাকা উঠে আসার সম্ভাবনাই বেশি। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের কোনো অ্যাস্টেরয়েড থেকে এই পরিমাণে খনিজ আহরণ সম্ভব, যা গোটা যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ আয়ের চেয়েও বেশি। হয়তো সে কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিছুদিন আগে আইন প্রণয়ন করেছেন, কোনো মার্কিন নাগরিক যদি মহাশূন্য থেকে কিছু নিয়ে আসে তবে তার মালিক যুক্তরাষ্ট্র সরকার! বুঝুন এবার!মাইক অবলম্বনে মেহেদী হাসান
200,249
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ মার্চ ২০১৬, ২০:০৮
১২ মার্চ ২০১৬, ২০:৫০
রাজধানী (জাতীয়),দুর্ঘটনা
0
শ্যামপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ শ্রমিক দগ্ধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/796666
রাজধানীর শ্যামপুরের বড়ইতলায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় আজ শনিবার বিকেলে হাইড্রলিক অয়েল সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকেরা হলেন, মুজিবুর রহমান (৪০), এনামুল হক (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩০), রুবেল (১৫) ও মিজানুর রহমান (২০)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে তাঁরা চিকিৎসাধীন। তাঁরা ‘হালিম মলডিং ওয়ার্কশপে’ কাজ করেন।হাসপাতালের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে বিল্লালের শরীরের ৪৮, এনামুলের ৪০, মিজানুরের ৬০ ও রুবেলের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। মুজিবুরের শরীরের সামান্য অংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে বিল্লাল, এনামুল ও মিজানুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক।ফায়ার সার্ভিসের মবিলাইজিং অফিসার পলাশ চন্দ্র মোদক প্রথম আলোকে বলেন, হাইড্রলিক অয়েল সিলিন্ডারটি অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে বিস্ফোরিত হলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল গিয়ে আগুন নেভায়।
209,912
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৬
১৫ মার্চ ২০১৬, ০১:৪৭
ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
0
র‌্যাগিংয়ে অসুস্থ এক ছাত্র, প্রতিবাদে মানববন্ধন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/799132
র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী গত রোববার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে র‌্যাগিংয়ের নামে নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে গতকাল সোমবার মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘গণরুমে’ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিভিন্ন বিভাগের ১১৪ জন শিক্ষার্থী উঠেছেন। হলে ওঠার পর প্রায় প্রতি রাতেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে র‌্যাগিংয়ের নামে মানসিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।রোববার রাত ১০টার দিকে ৪৪তম ব্যাচের ছাত্রলীগের প্রায় ২৫-৩০ জন কর্মী গণরুমে আসেন। একটু পর রসায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শরীফুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর বন্ধুরা তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে হলে ফিরিয়ে আনা হয়।চিকিৎসাকেন্দ্রে শরীফুলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের কর্মী মাজহারুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও রিসান আহমেদ সাংবাদিকদের বাধা দেন। এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়।হলের প্রাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘র‌্যাগিং বন্ধে আমরা সোচ্চার। আমি ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেছি। র‌্যাগিংয়ের কারণে ও অসুস্থ হয়নি।’র‌্যাগিংয়ের নামে হয়রানি বন্ধের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তারা র‌্যাগিং বন্ধের জন্য শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মির্জা তাসলিমা সুলতানা বলেন, এসব বন্ধে প্রশাসনের তদারকি বাড়াতে হবে।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাঈদ ফেরদৌস, দর্শন বিভাগের রায়হান রাইন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের নাসিম আখতার হোসাইন, বাংলা বিভাগের মো. খালেদ হোসাইন, শামীমা সুলতানা প্রমুখ।
211,049
শেরপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:১৫
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:১৭
শেরপুর
0
নকলায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল মাদ্রাসার ছাত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1312416
শেরপুরের নকলায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে উপজেলা সদরের চরকৈয়া এলাকার সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৩)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব কুমার সরকারের নির্দেশে গতকাল সন্ধ্যায় নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ছাত্রীটির বাড়িতে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ কর্মকর্তা ছাত্রীটির পরিবারের সঙ্গে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে কথা বলেন এবং ওই ছাত্রীকে বিয়ে না দেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় তার পরিবার বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হয়। তা ছাড়া ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে ছাত্রীর বাবা-মা অঙ্গীকার করেন।ইউএনও রাজীব কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেরপুর জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে নকলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করা হবে। তাই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
336,538
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ মার্চ ২০১৪, ০২:০৭
১৯ মার্চ ২০১৪, ০২:৪০
সংসদ,রাজধানী (জাতীয়)
0
সংসদে নষ্ট সময়ের আর্থিক মূল্য ১০৪ কোটি টাকা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/172129
নবম সংসদে কোরাম-সংকটের কারণে ২২২ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১০৪ কোটি টাকা। তা ছাড়া বিরোধী দলের ৩৪২ দিন সংসদ বর্জনের আর্থিক মূল্য চার কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে সংসদের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতি মিনিটে ব্যয় কমপক্ষে ৭৮ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এ প্রতিবেদন ‘পক্ষপাতমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।টিআইবি নবম সংসদের ১৯টি অধিবেশনের কার্যদিবসের কার্যক্রম ও স্থায়ী কমিটির কাজের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।প্রতিবেদনে অষ্টম সংসদের তুলনায় নবম সংসদে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়; পাশাপাশি নেতিবাচক কয়েকটি দিকও তুলে ধরা হয়। টিআইবি সময় নষ্টের আর্থিক মূল্যকে ‘অপচয়’ বা ‘দুর্নীতি’ বলে চিহ্নিত করেনি। সময় নষ্ট না করতে সাংসদদের সঠিক সময়ে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার তাগিদ দিয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজরদারি করা সংস্থাটি।সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য সংসদকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করা। দশম সংসদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটা বিরোধী দলবিহীন সংসদ। আক্ষরিক অর্থে সংসদে বিরোধী দল থাকলেও বাস্তবতার নিরিখে সংসদে কোনো বিরোধী দল নেই। জাতীয় পার্টিকে তার ভূমিকা পরিষ্কার করতে হবে—তারা সরকারে থাকবে, নাকি বিরোধী দলে থাকবে।ইফতেখারুজ্জামান ‘বিরোধী দলবিহীন’ এ সংসদকে সাময়িক আখ্যা দেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, শিগগিরই সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল কাঠামো অনুযায়ী একটি সংসদ প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার বলেছিল, ভোটের পর দ্রুত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আবার নির্বাচন হবে। যত শিগগির তারা সেটা করবে, ততই জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতার বিষয়টি ফুটে উঠবে। ইফতেখারুজ্জামান সংসদ বর্জনের জন্য সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্ট্রি এম হাফিজউদ্দিন খান।নষ্ট সময়ের খতিয়ান: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবম সংসদের ১৯টি অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ৪১৮ দিন। ঘণ্টার হিসাবে এক হাজার ৩৩১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট। কোরাম-সংকটের কারণে নষ্ট হয় শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ সময়। প্রতিদিন সাংসদদের গড় উপস্থিতি প্রায় ২২১ জন।প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদ নেতা শেখ হাসিনা শতকরা ৮০ ভাগের বেশি দিন (৩৩৬ দিন) সংসদে উপস্থিত ছিলেন। আর বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া শতকরা মাত্র ২ দশমিক ৩৯ ভাগ দিনে (১০ দিন) উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির সাংসদেরা উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৭৬ দিন। উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপি গত মেয়াদে টানা সংসদ বর্জন করে।নবম সংসদে নানা কারণে মোট ৫৪ বার ওয়াকআউট করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি করেছে ৪১ বার। একমাত্র স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম করেছেন ১৩ বার।আইন প্রণয়নে কম সময়: সংসদের প্রধান কাজ আইন প্রণয়ন হলেও টিআইবির প্রতিবেদন বলছে, গতবার মোট সময়ের শতকরা মাত্র ৮ দশমিক ২ ভাগ ব্যয় হয়েছে আইন প্রণয়নের জন্য। এতে বলা হয়, উন্নত বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাজ্যে মোট সময়ের শতকরা ৫৫ ভাগ ও প্রতিবেশী ভারতে শতকরা ৫৩ ভাগ সময় আইন প্রণয়নে ব্যয় করা হয়। নবম সংসদে ২৬৮টি সরকারি বিল ও তিনটি বেসরকারি বিল পাস হয়েছে। প্রতিটি বিল পাসে গড়ে সময় ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১২ মিনিট। সর্বোচ্চ সময় ব্যয় হয়েছে পঞ্চদশ সংশোধনী বিলে—চার ঘণ্টা ছয় মিনিট। মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের আলোচনায় বিল পাসের ঘটনাও ঘটেছে।প্রতিবেদনে সাংসদদের গড় উপস্থিতি বৃদ্ধি, নারী সাংসদদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ও প্রথম অধিবেশনেই সব স্থায়ী কমিটি গঠনকে নবম সংসদের ইতিবাচক বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আর নেতিবাচক দিক হলো প্রধান বিরোধী দলের সংসদ বর্জন ‘সংকটজনকভাবে’ বেড়ে যাওয়া, আইন প্রণয়নে গড় সময় কমা, আইন প্রণয়নে নারীদের কম অংশগ্রহণ, আন্তর্জাতিক চুক্তি নিয়ে সংসদে আলোচনা না হওয়া, অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার বন্ধ না হওয়া ও বিরোধী দলের গঠনমূলক ভূমিকা না থাকা।সুপারিশ: সংসদকে আরও কার্যকর করতে টিআইবি বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আছে সংসদ বর্জন ঠেকাতে আইন প্রণয়ন, সাংসদদের অনুপস্থিত থাকার সময় সর্বোচ্চ ৯০ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন করা, সাংসদদের আচরণবিধি আইনে পরিণত করা, নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া কার্যত অসম্ভব করে তোলা, ৭০ অনুচ্ছেদে সংশোধন, প্রতি কার্যদিবস ছয় ঘণ্টা করা ও সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করা।আইনমন্ত্রী বললেন, পক্ষপাতমূলক: গতকাল সচিবালয়ের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী টিআইবির প্রতিবেদনকে পক্ষপাতমূলক আখ্যা দেন। এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মেরিট লুন্ডেমো মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের মতোই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে গঠিত জাতীয় সংসদে বিরোধী দল ৭০ দিনের জন্য সংসদে এসেছে। কাজেই টিআইবি প্রতিবেদনের এ বক্তব্য পক্ষপাতিত্বমূলক। টিআইবির কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত বলেছেন, অনেক বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী নরওয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। তাঁদের বেশির ভাগ আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য নন। নরওয়ে কর্তৃপক্ষ অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে চুক্তি করতে চান। মন্ত্রী জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিবাদ: দশম জাতীয় সংসদে বাস্তবিক অর্থে বিরোধী দল নেই বলা যায় এবং জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হলে সরকারের সঙ্গে আছে কীভাবে—টিআইবির এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়।বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ গতকাল রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ করেন। বিবৃতিতে টিআইবির বক্তব্যকে ‘আংশিক পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এতে বলা হয়, ‘জাতীয় পার্টি সরকারে এবং বিরোধী দলে থাকবে, এটি একটি নতুন কনসেপ্ট এবং তা অনেক দেশে আছে। এ ক্ষেত্রে আমরা সরকারের ভালো কাজকে সমর্থন দেব, অন্যায় কাজের প্রতিবাদ জানাব।’
59,409
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুন ২০১৬, ১৬:৩৫
২২ জুন ২০১৬, ২৩:০২
সরকার
null
ঈদে নয় দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকুরেরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/895963
শবে কদরের পরদিন আগামী ৪ জুলাই সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী ক্ষমতাবলে এই ছুটি ঘোষণা করেছেন। তবে ৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে ১৬ জুলাই (শনিবার) অফিস করতে হবে। এর ফলে এবারের ঈদে টানা নয় দিনের ছুটির সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকুরেরা।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে এবং আনন্দমুখর পরিবেশে ঈদের ছুটি কাটাতে পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাধারণত ঈদের ছুটি তিন দিন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৬ বা ৭ জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হতে পারে। এ জন্য ৬ জুলাই ঈদ ধরে ৫, ৬ ও ৭ জুলাই ঈদের ছুটি নির্ধারিত আছে। এর আগে ৩ জুলাই শবে কদরের ছুটি। এর সঙ্গে এখন ৪ জুলাইয়ের ছুটি যোগ হলো। ঈদের হিসেবে শুধু শবে কদরের ছুটির পরের দিন ৪ জুলাই অফিস খোলা ছিল।এখন দেখা যাচ্ছে, ঈদের আগে সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ অফিস ৩০ জুন। ১ ও ২ জুলাই (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। ঈদের ছুটির পরের দু্ই দিন আবার সাপ্তাহিক (শুক্র-শনিবার) ছুটি। অর্থাৎ ১ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত নয় দিন ছুটি কাটিয়ে ১০ জুলাই অফিস করবেন সরকারি চাকুরেরা।
234,493
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ মে ২০১৫, ০০:৩৯
০৭ মে ২০১৫, ০২:৪০
রাজবাড়ী,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
অবহিতকরণ সভা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/521467
রাজবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, মা ও শিশুর এইচআইভি-এইডস প্রতিরোধ ও শিশু সুরক্ষাবিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় এই সভার আয়োজন করা হয়। রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম খান, বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, কেকেএসের নির্বাহী পরিচালক ফকির আবদুল জব্বার, রাজবাড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি খান মো. জহুরুল হক প্রমুখ।
137,135
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
২৪ মে ২০১৭, ০১:১২
২৪ মে ২০১৭, ০১:২৭
অপরাধ
0
সরিয়ে দেওয়া হলো আহসানুল আলমকে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1190491
ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সৈয়দ আহসানুল আলমকে সরিয়ে দিয়েছে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকেও আবদুল মাবুদকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে স্বতন্ত্র এই দুই পরিচালকের পরিচালক পদে থাকা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।গত ৫ জুন ব্যাংকটির বিশেষ পরিস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন স্বতন্ত্র এই পরিচালক। শুরুতে তিনি ব্যাংকটির প্রভাবশালী একজন পর্ষদ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এজিএম ও পর্ষদের সভায় ১৮ পরিচালকই উপস্থিত ছিলেন। একমাত্র সৈয়দ আহসানুল আলম উপস্থিত ছিলেন না। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব অডিটরিয়ামে এসব সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকালের সভায়ই ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম শেয়ারধারী ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) হাতে রাখা শেয়ারের বড় অংশ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে।কয়েক দিন ধরে এবারের এই এজিএম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও সাধারণ শেয়ারধারীদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। উপস্থিত যাঁরা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের সবাই  বর্তমান পর্ষদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁদের অনেকেই আহসানুল আলম ও আবদুল মাবুদকে পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।এদিকে আহসানুল আলম গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘ভাড়া করা এজিএম পার্টির লোকেরা কতিপয় পরিচালকের বিরুদ্ধে যে বিষোদ্গার করেছে, তার উত্তর দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই।’যোগাযোগ করা হলে আহসানুল আলম বলেন, ‘আমাকে কায়দা করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোপন তথ্য পেয়েই আমি সভাতে অংশ নিইনি।’অন্যদিকে এজিএম শেষে ব্যাংকের বিদেশি পরিচালক ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) প্রতিনিধি আরিফ সুলেমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের আমাদের সাড়ে ৭ শতাংশ শেয়ার আছে। ২ দশমিক ১ শতাংশ রেখে বাকিটা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ইসলামী ব্যাংক ছেড়ে যাচ্ছি না, তবে শেয়ার কমিয়ে আনছি।’ ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তন নিয়ে আইডিবির অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আরিফ সুলেমান বলেন, পরিবর্তন এ-দেশীয় আইন মেনে হয়েছে, পর্ষদের মাধ্যমেই হয়েছে।পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সৌদি আরবের আল-রাজি গ্রুপের প্রতিনিধি ইউসিফ আবদুল্লাহ আল রাজি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাংকের পরিবর্তন নির্বিঘ্নে হওয়া উচিত। দ্রুত পরিবর্তনের কারণে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগের পরিচালনা পর্ষদ ছিল ভেরি ভেরি গুড, এখনকার পর্ষদ এক্সিলেন্ট।’ এ সময় চেয়ারম্যান আরাস্তু খান ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল মতিন উপস্থিত ছিলেন।যেভাবে সম্পন্ন হলো এজিএমগত ৩১ মার্চ ব্যাংকটি ঘোষণা দেয়, এবার এজিএম হবে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে। ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে ব্যাংকটি। এরপর থেকেই ব্যাংকটির মালিকানার পরিবর্তন নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়। এরপর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসানুল আলম ১১ মে ফেসবুকে লেখেন যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। পরিচালক পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁর পক্ষে ব্যাংকটির আরও ৬ পরিচালক বিবৃতি দেন। ফলে ব্যাংকটির পর্ষদ কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে সভার স্থান নির্ধারিত হওয়ায় গতকাল সকাল থেকেই শেয়ারধারীরা আসতে থাকেন। সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় অনেকেই ফিরে যান। সকাল ১০টায় গলফ ক্লাবের মিলনায়তনে গিয়ে দেখা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংকটির সাধারণ শেয়ারধারী সাড়ে ১৮ শতাংশ হলেও এসেছেন মাত্র কয়েকজন। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন ব্যস্ত। যথাসময়েই শুরু হয় এজিএম। এর কিছুক্ষণ পরে আসেন একদল শেয়ারধারী; যারা শেয়ারবাজারের ‘এজিএম পার্টি’ নামেই পরিচিত। তালিকাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এজিএমে অংশ নিয়ে তাঁরা মূলত পরিচালকদের পক্ষে কাজ করেন।সকাল ১০টায় ব্যাংকটির কোম্পানি সচিব অ্যাজেন্ডা উপস্থাপনের পর চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ব্যাংকের মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে লভ্যাংশ কম দেওয়া হয়েছে। মুনাফা থেকে ২৮৫ কোটি টাকা রিজার্ভে রাখা হয়েছে। আইডিবি ইসলামী ব্যাংক ছেড়ে যাচ্ছে না, তারা কিছু শেয়ার বিক্রি করছে।এরপর আরাস্তু খান একে একে ১০ জন শেয়ারধারীকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন। তাঁরা সবাই ছিলেন ‘এজিএম পার্টির’ সদস্য। এ সময় লুতফুল গনি বলেন, যেসব পরিচালক ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন করছেন, তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্রকারী। রুহুল আনোয়ার বলেন, পরিচালক শপথ ভেঙেছেন। ওনাকে মদদ দিচ্ছেন আরেক পরিচালক আবদুল মাবুদ। জানে আলম নামে একজন বলেন, কোনো পরিচালক শাখায় গিয়ে ফাইল চাইতে পারেন না। এটা ভাইস চেয়ারম্যানের কাজ না। মনিরুল ইসলাম বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে।পরিচালকদের বক্তব্য শেষে এক-তৃতীয়াংশ পরিচালক পদত্যাগ করেন ও নতুন করে নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকের স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি অ্যাজেন্ডায় এলে কয়েকজন প্রতিবাদ জানিয়ে মঞ্চে উঠে পড়েন। এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা যাঁর কথা ভাবছেন, উনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের। ইনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমি বিষয়টা দেখছি।’এরপর ব্যাংকটির নতুন পরিচালক হিসেবে আল-রাজি গ্রুপের প্রতিনিধি মুসাইন আবদুল্লাহ আল রাজিকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে বলে জানান চেয়ারম্যান। এর ফলে ব্যাংকটির পরিচালকের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০ জনে। এর মাধ্যমে শেষ হয়ে যায় ব্যাংকটির এজিএম কার্যক্রম।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ব্যাংকটি সবচেয়ে কম, ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিল। ২০১৫ সালে নগদ লভ্যাংশ ছিল ২০ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সামগ্রিক বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকটিতে কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের মালিকানা আছে। তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধেই এ পরিবর্তন হয়েছে। এখন বোঝা গেল চেয়ারম্যান ও এমডি যে গ্রুপ থেকে এসেছেন, তারাই শক্তিশালী। এ পরিবর্তন ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকেই হয়েছে। এর প্রভাব ব্যাংকের ব্যবসায় পড়বে না।পর্ষদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনএজিএম শেষে গলফ ক্লাবেই ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা হয়। সভা শেষে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্যাংকে এখন থেকে একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন, দুজন থাকার প্রয়োজন নেই। সব ব্যাংকে তো  একজন থাকেন। আমাদের শুধু ইউসিফ আবদুল্লাহ আল রাজি এ পদে থাকবেন। আহসানুল আলম শুধু স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে থাকবেন। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম মোহাম্মদ আফজালকে। ওই পদে আগে ছিলেন আবদুল মাবুদ।’আরান্তু খান বলেন, ‘ব্যাংক ফাউন্ডেশন পরিচালনা করতে পর্ষদ থেকে চারজন পরিচালক হবেন। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালকও আছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও হিসাববিদ—এমন আরও চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ফাউন্ডেশন থেকে আরও আটজন থাকবেন। ফাউন্ডেশনকে আমরা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না, এ জন্য তাঁদের প্রাধান্য থাকবে।’আরাস্তু খান আরও বলেন, ‘একজন পরিচালককে (আহসানুল আলম) হুমকি দেওয়া হলো। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছি। সাতজন পরিচালক স্বাক্ষর করে বিজ্ঞপ্তি দিলেন। তিনি বলে দিলেন, ব্যাংক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ব্যাংকের ভাবমূর্তি ব্যাপক ক্ষুণ্ন হয়েছে। পর্ষদ সভায় আসতে উনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, উনি আসেননি।এ সময় নির্বাহী কমিটির চেয়াম্যান আবদুল মতিন বলেন, ‘আমিও এই বিজ্ঞপ্তিতে সই দিয়েছি। তবে এটা সংবাদমাধ্যমে দেওয়ার জন্য নয়। আমরা সবাই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একত্র আছি।’উল্লেখ্য, সৈয়দ আহসানুল আলমের নেতৃত্বে বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছিলেন শেয়ারধারী পরিচালক আব্দুল মতিন, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও কাজী শহিদুল আলম, স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল মাবুদ, সাইফুল ইসলাম ও হেলাল আহমেদ চৌধুরী। এজিএমে আহসানুল আলম ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রাজধানীর র‍্যাডিসন হোটেলে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ব্যাংকটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পরিবর্তন আসে। আরাস্তু খান একই দিন নতুন পরিচালক হয়েই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। আহসানুল আলমও এদিন নতুন ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।
319,403
সত্যজিৎ ঘোষ, শরীয়তপুর
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ আগস্ট ২০১৭, ০২:০০
০৭ আগস্ট ২০১৭, ০৮:৪৬
আইন ও বিচার
null
‘হত্যার ছবি দেখার পরও তাদের খালাস দিতে হলো?’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1280076
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির রায় শুনে হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁর মা-বাবা। তাঁরা বলেন, রাষ্ট্রের কাছে তাঁদের চাওয়া, বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা যাতে পার পেয়ে না যায়।শরীয়তপুর-নড়িয়া সড়কের পাশে মশুরা গ্রামের ঘোষ পাড়ায় বিশ্বজিতের পরিবারের বসবাস। গতকাল এ প্রতিবেদক সেখানে গেলে বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত দাস বলেন, ‘প্রকাশ্যে ১০-১২ জন মানুষ আমার ছেলেটাকে কুপিয়ে হত্যা করল। ছেলেটা বাঁচার জন্য কতই না আকুতি করেছিল। পাষণ্ডরা দানবের মতো কুপিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। তাদের ছবি দেশের পত্রিকা, টেলিভিশনে প্রকাশিত হলো। তারপরও তাদের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করা হলো? তাদের খালাস দিতে হলো?’এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠেন বিশ্বজিতের মা কল্পনা রানী দাস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ আমার মানিক আমাকে মা বলে ডাকে না। মা হিসেবে এটা যে কত বেদনাদায়ক, তা কি কেউ বোঝে না! ওর মৃত্যুর পরের বছর আটজনের মৃত্যুদণ্ড, ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হলো। আশায় বুক বেঁধেছিলাম অপরাধীদের শাস্তি বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু এখন কী হলো? তাদের সাজা কমল, খালাস পেল। আমরা এ রায় মানি না।’
331,205
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ মে ২০১৯, ২০:২৬
১১ মে ২০১৯, ১২:৪২
আওয়ামী লীগ,রাজনীতি,বিএনপি,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ,রাজধানী
0
রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1593050
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপিই রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়নের সূত্রপাত করেছে। সেনা ছাউনির ভেতর থেকে জিয়াউর রহমান অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপির জন্ম দেন। তারা সেই ধারাই বজায় রেখে রাজনীতিকে কলুষিত করেছে।’আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী এ সময় প্রয়াত ওয়াজেদ মিয়াকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ছিলেন, বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন, এর কোনো কিছুতেই তাঁর কোনো অহংবোধ প্রকাশ পায়নি। প্রজ্ঞাবান ও বিনয়ী এই মানুষটির জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, যা নিয়ে আমরা নিজেদের উন্নত ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’সমকালীন রাজনীতি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একজন স্বীকৃত দুর্বৃত্ত, যার নেতৃত্বে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে, যার নেতৃত্বে হাওয়া ভবন চলত, এমন কাউকে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিলে কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর পুত্র তারেক রহমানের সেই দুর্নীতি-দুর্বৃত্তির বিভিন্ন তথ্যই তুলে ধরেন। বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল সেই বক্তব্যকে “গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ” বলেছেন। অথচ আসলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি।’‘বিএনপি সব সময় গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘সেনা ছাউনির ভেতর থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে বিএনপির জন্ম হয়েছে এবং এরপর রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ও মুনাফালোভীদের সমাবেশ ঘটিয়ে দল গঠন করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশে ২০১৪ সালের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। এবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল মূলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। ২০১৩-১৪-১৫ সালে হাজার হাজার মানুষকে পেট্রলবোমায় ঝলসে দিয়েছে, শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এরাই গণতন্ত্রের বড় শত্রু এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে তাদের কোনো কথা বলার অধিকার নেই।’‘এসব কারণেই বিএনপি আজ জনবিচ্ছিন্ন, ২০-দলীয় জোটে আজ ভাঙনের সুর, ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য নাই’ বলেন হাছান মাহমুদ।বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বিশিষ্ট অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ ইনামুল হক, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামী লীগের নেতা বলরাম পোদ্দার, আক্তার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, অরুণা বিশ্বাস, দিনাত জাহান মুন্নী, কামাল চৌধুরী, শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
401,202
-1
entertainment
বিনোদন
২৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১
২৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১
মঞ্চ,বিনোদন
0
দৃশ্যপট নাট্যোৎসবের উদ্বোধন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/130102
দৃশ্যপট নাট্যদলের আয়োজনে তিন দিনের নাট্যোৎসব শুরু হয়েছে গতকাল জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে। উদ্বোধনী দিনে ছিল প্রাচ্যনাটের নাটক গন্ডার। ফরাসি নাট্যকার ইউজিন এয়ানেস্কার এ নাটকটির অনুবাদ করেছেন জহুরুল হক, নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম। এতে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ আবিদ হোসেন, আজাদ আবুল কালাম, মনিরুল ইসলাম, বিলকিস জাহান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। আজ শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে দৃশ্যপটের নাটক সক্রেটিসের জবানবন্দি।
46,144
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৮
১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৯
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর
0
উচ্চাঙ্গসংগীত সম্মেলন শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1057573
অস্থিরতার এই সময়ে শুদ্ধ সংগীত ও সর্বোপরি সংস্কৃতিচর্চা অনেক জরুরি।গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গসংগীত পরিষদ বাংলাদেশ আয়োজিত বিশতম জাতীয় উচ্চাঙ্গসংগীত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন উৎসর্গ করা হয় ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়াকে।সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পণ্ডিত দিলীপ দাশ। সদারঙ্গের সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার। স্বাগত বক্তব্য দেন সদারঙ্গের সাধারণ সম্পাদক স্বর্ণময় চক্রবর্তী।দিলীপ দাশ বলেন, ‘অস্থির এই পৃথিবীতে সুখের ঠিকানা খুঁজতে হবে। শুদ্ধ সংগীত আমাদের ছায়া দিয়ে যাবে। শুদ্ধ সংগীত খাঁটি সোনা।’ তিনি আরও বলেন, সদারঙ্গের ২০ বছরের পথচলা একটি মাইলফলক।সোমনাথ হালদার বলেন, বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা চলছে। সুস্থ পরিবেশ তৈরির জন্য সুস্থ মনের মানুষ দরকার। এ জন্য সংস্কৃতিচর্চার বিকল্প নেই।ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অপসংস্কৃতিতে বিপন্ন দেশ ও বিশ্ব। সেখানে সদারঙ্গের শুদ্ধ সংগীতচর্চা আমাদের আলোর পথ দেখায়।’
282,651
শেরপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৩
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৪
বিশাল বাংলা
0
মেলা শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/625275
‘উন্নয়নের পাসওয়ার্ড আমাদের হাতেই’—এ স্লোগানকে সামনে রেখে শেরপুরে উপজেলা ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহ-২০১৫ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে সদর উপজেলা হলরুমে এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। সদর উপজেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। বক্তব্য দেন অঞ্জন চন্দ্র পাল, উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ।
167,067
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:৫০
০৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:৫১
-1
0
এমআরপি-এমআরভি ফি পরিশোধে পাঁচ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/91372
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং মেশিন রিডেবল ভিসার (এমআরভি) ফি পরিশোধে পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট। গত বুধবার স্থানীয় একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।ব্যাংকগুলো হলো: ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। চুক্তির ফলে ভোক্তারা এখন থেকে এসব ব্যাংকের যেকোনো শাখাসহ সব বুথ, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, এটিএম বুথ, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, গ্রাহকসেবা বুথ, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে এমআরপি ও এমআরভি ফি প্রদান করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ। বিজ্ঞপ্তি।
33,564
-1
entertainment
বিনোদন
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪০
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২১
সংস্কৃতি
0
রবীন্দ্রসরোবরে একুশের অনুষ্ঠানামালা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/456133
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একুশের অনুষ্ঠানমালা। টানা ১০ দিন শহীদ মিনারে আয়োজন শেষে গতকাল ১১তম দিনে একুশের অনুষ্ঠানমালার ঠিকানা হয়েছে রবীন্দ্রসরোবরে। িবকেল সাড়ে চারটায় রবীন্দ্রসরোবরে নবীন বসন্তের মিষ্টি রোদের আলোয় দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন।শুরুতে ছিল কচি সরকারের কণ্ঠে ‘এই পদ্মা,এই মেঘনা, এই যমুনা’ গানটি। এরপর সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐতিহ্যর সদস্যরা শোনান একটি দলীয় গান। পরে একক গান শোনান সৈয়দ সায়ের হোসেন, আরিফ রহমান, জাহিদ হাসান এবং পার্থ প্রতিম মজুমদার।গানে গানে সন্ধ্যা নামে রবীন্দ্রসরোবরে। ততক্ষণে দর্শকসারির প্রতিটি আসন পূর্ণ হয়ে যায়।অনুষ্ঠানে আবৃত্তি শোনায় ক’জনা, প্রজন্মকণ্ঠ এবং সাম্পান। মাহবুবুল আলম চৌধুরী ‘ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ শোনান শাহাদৎ হোসেন। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। আজ বিকেল সাড়ে চারটায় একই স্থানে থাকছে ১২তম দিনের আয়োজন। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।
116,769
অনলাইন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৬:২০
০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৭:০৪
বলিউড
0
নতুন বছরে বলিউড তারকাদের নতুন শপথ
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/729895
দিনরাত্রির পালাবদলের মাঝে আরও একটি নতুন বছর এসে হাজির। নতুন বছর মানেই পুরোনো ভুলগুলো শুধরে নিয়ে সবকিছু আবারও নতুন করে শুরু করা। নতুন লক্ষ্যের দিকে, নতুন সিদ্ধান্তের আলোয় নতুন শপথে নতুনভাবে ছুটে যাওয়া। বলিউডের তারকারাও এর বাইরে নন। চলুন পাঠক, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাস্তবতার বিবেচনায় নতুন বছরে কোন তারকার কোন শপথটি নেওয়া উচিত!প্রিয়াঙ্কা চোপড়াগত বছর আমি যে ভোল পাল্টে অদ্ভুত ধরনের পরিবর্তনটি গ্রহণ করেছিলাম, এ বছর সেটি ত্যাগ করব, এবং নিজেকে নিয়ে ও নিজের শেকড় নিয়ে গর্বিত থাকব।রণবীর কাপুরঅন্যের কাছে, বাবা-মায়ের কাছে, প্রেয়সীর কাছে; এমনকি পুরোনো প্রেমিকার কাছে ভালো হওয়ার চেষ্টা আর করব না। আমি জানি আমি কতটা ভালো। তাই, আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেব, নাহয় নাই হোক সেটা আমার কাজের জন্য সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত।বরুণ ধাওয়ানআমি গোবিন্দ’এর বদলি অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করা ছেড়ে দেব। আমি অনেক দারুণ কাজ করতে পারি। যেমনটি করেছিলাম ‘বদলাপুর’ ছবিতে। তাই, আমি আমার নিজের ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিভার মাঝেই আমার আগামী চরিত্র খোঁজার চেষ্টা করব। কঙ্গনা রনৌতআমাকে নিয়ে নিন্দুকেরা যেসব বাজে কথা রটিয়ে বেড়ায়, আমি সেসবে কান না দিয়ে আমার মতো কাজ আমি করে যাব। দীপিকা পাডুকোণকোনো কিছু করার জন্য প্রচণ্ড সংকল্প থাকা এক কথা, আর ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা ভিন্ন কথা। আমি যেটা ভালো করি, সেটাই করে যাব এবং ফলাফল কী হয় তা নিয়ে ভাবব না। সানি লিওনআমি নিজেই সিদ্ধান্ত নেব যে, আমি পর্নো তারকা হিসেবে পরিচিতি পেতে চাই কিনা। যদি তাই চাই, তাহলে ভণিতা করা ছেড়ে দেব আমি। আর যদি না চাই, তাহলে ছবিতে সেই কাজগুলো করব না, যা শুধু পর্নো স্টারদের থেকেই আশা করা যায়। পরিনীতি চোপড়াবডি-ফিগার নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে আমি সেদিকেই বেশি নজর দেব, যা আমি আসলেই ভালো করি—আমার অভিনয়। যারা আমাকে পর্দায় দেখতে পছন্দ করেন, তাঁরা আমার ওজন নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামান না। রণবীর সিংপার্টিতে কাউকে জড়িয়ে ধরা এবং অন্তরঙ্গ হওয়ার আগে আমি আরও বেশি সতর্ক ও হিসেবি হব। সোনাক্ষী সিনহাআমি আমার চরিত্রগুলো আরও সতর্কতার সঙ্গে বেছে নেব। ‘অপরিপক্ব ও হাস্যকর’ চরিত্রে অভিনয় করা বাদ দিয়ে ‘লুটেরা’ ছবির মতো পাক্কা চরিত্র বেছে নেব। মিড-ডে।
188,823
নোয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ জুলাই ২০১৫, ১৩:২৭
২৯ জুলাই ২০১৫, ২২:৩৩
নোয়াখালী,আইন ও বিচার
null
মিলন হত্যা: মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/587890
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের কিশোর শামছুদ্দিন মিলন হত্যা মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সমরেশ কুমার শীল এ আদেশ দেন।আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখে ওই দুজনকে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার সিডি (কেস ডায়েরি) নথি তলব করেছেন আদালত।আজ এই মামলার ধার্য তারিখ ছিল। তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন এদিন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পরে আদেশ দেন আদালত। আদালতের আদেশের বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি) এ টি এম মহিব উল্যাহ বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ। এদিন আদালতে মামলা প্রত্যাহারে বাদীর আবেদন এবং তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে। শুনানি শেষে আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করতে পারেন বা তা গ্রহণ না করে মামলা পুনরায় তদন্ত করার আদেশ দিতে পারেন। এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ২০১১ সালের ২৭ জুলাই কোম্পানীগঞ্জের চর কাঁকড়া ইউনিয়নের নিরীহ কিশোর মিলনকে (১৬) ডাকাত সাজিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ গাড়িতে করে এনে উন্মত্ত জনতার হাতে এই কিশোরকে ছেড়ে দেয়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশের গাড়ি থেকে তাকে নামিয়ে দেওয়াসহ পুরো ঘটনাটির ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হলে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষ। বিচার মাটিচাপা দিল পুলিশঘটনার পর ২০১১ সালের ৩ আগস্ট মিলনের মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালতে একটি মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ৮ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে স্থানীয় থানার পুলিশ। পরে মামলার তদন্তভার পায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবির একাধিক কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেন। মামলাটির সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ডিবি) মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের ২ নম্বর আমলি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বাদীর মামলা না চালানোর আবেদনের বরাত রয়েছে। এ নিয়ে ২৭ জুলাই প্রথম আলোয় ‘বিচার মাটিচাপা দিল পুলিশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
155,699
বরিশাল অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৭
২৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৮
বরিশাল,বরিশাল বিভাগ,রাজনীতি,বিশাল বাংলা
0
জাপার প্রার্থী টিপুর আয় বৃদ্ধি ২০ গুণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/109165
মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ২০০৮ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গোলাম কিবরিয়া ওরফে টিপু। এবারও তিনি বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন থেকে জাপার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তাঁর হলফনামা অনুযায়ী, সাড়ে চার বছরে তিনি ২০ গুণ অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন।হলফনামায় গোলাম কিবরিয়ার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার ১০৭ টাকা। নগদ এক কোটি ৯২ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৫ টাকা এবং ব্যাংকে জমা আছে এক কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৮৮ টাকা। যাত্রীবাহী লঞ্চের মূল্য দেখিয়েছেন দুই কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৬ টাকা।২০০৮ সালের হলফনামায় কিবরিয়া বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২২ লাখ ২১ হাজার ৯৬০ টাকা। বার্ষিক আয়ের অর্থই ছিল তখন তাঁর নগদ অর্থ। সে সময় তাঁর কৃষিজমি ছিল এক লাখ টাকার এবং অকৃষিজমির মূল্য দেখিয়েছেন ছয় লাখ টাকার। এবার তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে এক কোটি ৬৩ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭ টাকা।গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৮ সালে আমার জাহাজ নির্মাণপ্রতিষ্ঠান থাকলেও তখন নির্মাণকাজ চলছিল। তখন ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আয় হয়নি। তাই আয় কম দেখানো হয়েছে। বর্তমানে আমার লঞ্চ ব্যবসা থাকলেও দুটি জাহাজ নির্মাণপ্রতিষ্ঠানই আয়ের মূল উৎস। তবে আয় করলেও ব্যাংকে আমার দেনার পরিমাণও কম নয়।’
39,007
প্রতিনিধি, কলকাতা
international
আন্তর্জাতিক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৬
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৩
ভারত,নরেন্দ্র মোদি,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,পশ্চিমবঙ্গ,রাজনীতি
null
পশ্চিমবঙ্গে চলছে গুন্ডারাজের রাজত্ব: মোদি
http://www.prothom-alo.com/international/article/1578152
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে চলছে এখন গুন্ডারাজ, দুর্নীতিবাজ সরকারের রাজত্ব। এখানে গণতন্ত্র নেই। তাই এই রাজ্যে দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে এত তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা।পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে আজ শুক্রবার বিকেলে এক জনসভায় মোদি এ কথা বলেন। ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডারে বিজেপি এই জনসভার আয়োজন করে।মোদি বলেন, খুনের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা। সিন্ডিকেট রাজত্ব কায়েম হয়েছে এই রাজ্যে। চিটফান্ডের মাধ্যমে গরিবের টাকা লুট হয়েছে। সেই লুটেরাদের বাঁচাতে এখন ধরনায় বসছেন মমতা। মোদি প্রশ্ন করেন, ‘আর কত ধরনা দেবেন দুর্নীতিবাজ আর লুটেরাদের বাঁচানোর জন্য?’ বলেন, ‘চিটফান্ড-কাণ্ডে কাউকে ছাড়া হবে না। কটা ধরনা করবেন করুন। কিন্তু লুটেরারা বাঁচতে পারবে না।’মোদি আজ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে তাঁর টানের কথা উল্লেখ করে বলেন, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমার চায়ের সম্পর্ক। তাই চা-ওয়ালাকে এত ভয় কিসের দিদির? প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ এই রাজ্য প্রধান চায়ের জোগানদার। আজ জলপাইগুড়িতে একটি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করে মোদি বলেন, ২০ বছর আগে এই সার্কিট বেঞ্চ গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মঞ্জুরিও পাওয়া যায়। কিন্তু গড়তে পারেনি এই বেঞ্চ।মোদি বলেন, বাম আমলে এই রাজ্যের হাল খারাপ করা হয়েছে। তৃণমূল এসে এই হাল আরও খারাপ করে দিয়েছে। বাংলায় এখন হিংসার রাজ চলছে। বিজেপিকে সভা করতে দেওয়া হয় না। এখন বাংলার শাসন করছে জগাই আর মাধাই। তাদের বিদায় নিশ্চিত। তিনি মমতার সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘তৃণমূল হলো কমিউনিস্ট সরকার পার্ট-২।’ মোদি বলেন, ‘মমতা এখন বুঝতে পারছেন তাঁদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। বিজেপির উত্থান ঘটেছে। তাই তাঁরা ভয়ে বিজেপির ওপর অত্যাচার শুরু করেছেন।’ মমতার গড়া প্রস্তাবিত মহাজোট নিয়ে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, মহাজোট হলো মহাভেজাল। বাংলার দুর্নীতিবাজ সরকারকে আর দুর্নীতিবাজদের আড়াল করতে দেওয়া হবে না। দুর্নীতিবাজদের আর রেহাই হবে না। দুর্নীতিবাজদের হটিয়ে এই রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। ত্রিপুরার লালঝান্ডা নামিয়েছিল বিজেপি। এবার পালা এই বাংলা। এখানেই উড়বে বিজেপির পতাকা। বলেছেন, তৃণমূল বাংলার মাটির বদনাম করেছে। এবার বাংলার মানুষ সেই বদনাম ঘুচিয়ে এখানে বিজেপির পতাকা ওড়াবে।
389,661
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:০৫
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:০৫
বাণিজ্য
0
আইএমএফ চিরদিনই কম বলে: অর্থমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/economy/article/760132
বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে চিরদিনই কম প্রাক্কলন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এমন মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাস্তবে যা হয়, তখন এর সঙ্গে সুর মেলায় আইএমএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি-২) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমাদের কাছাকাছি কথা বলে এডিবি। এরপরে বলে বিশ্বব্যাংক। বাজেটে আমরা ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরেছি, তা শতভাগ অর্জন করব।’ ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি ডায়ালগ অন ইউজ অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব কান্ট্রি সিস্টেম’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
199,043
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ আগস্ট ২০১৭, ০১:৫৮
২১ আগস্ট ২০১৭, ০১:৫৯
রাজনীতি,রাজধানী (জাতীয়)
0
ধর্ষকের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় না
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1297211
রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক পরামর্শ সভায় আলোচকেরা বলেছেন, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার ৪ উপধারার ভিত্তিতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করা হচ্ছে। এতে ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র এবং অতীত ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। আসামিপক্ষের আইনজীবী ধর্ষণের শিকার নারীর নৈতিক চরিত্র হরণ করে যেসব প্রশ্ন করেন, তা আরেকবার ধর্ষণের শামিল। কিন্তু ধর্ষকের চরিত্র নিয়ে সেভাবে প্রশ্ন তোলা হয় না। তাই আইনের এই উপধারা বাতিল করতে হবে।গতকাল রোববার ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচারে চারিত্রিক সাক্ষ্যের ব্যবহার’ বিষয়ক পরামর্শ সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, এই উপধারা বাতিলের পক্ষে বহুবার মতামত দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতিসহ আইন-সংশ্লিষ্টরা এটি বাতিলের সুপারিশও করেছেন। এখন পর্যন্ত এ ধরনের উপধারা কীভাবে বহাল থাকে তা-ই সবার কাছে বড় প্রশ্ন।নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসির আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নেতৃত্বে বিডব্লিউএইচসি, মেরী স্টোপস এবং আমরাই পারি জোটের মাধ্যমে বাস্তবায়িত সখি প্রকল্পের অধীনে এ পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়।সভায় সভাপতির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ধর্ষকের চরিত্র কেমন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় না। কিন্তু ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র জানার জন্য প্রশ্ন করা হয়। তাই এ ধরনের ধারা ও উপধারা বাতিল করতে হবে।অবশ্য সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, বিদ্যমান আইন ও বিধির মধ্যে থেকেও যেকোনো ধরনের হয়রানি থেকে নারীকে উদ্ধার করার দায়িত্ব আদালত এবং বিচারকের। আইনজীবী পরিশীলিত প্রশ্ন না করলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বিচারক।এ সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, দেড় শ বছরের আইনি প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার নারীকে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণের সময় আবারও প্রায় ধর্ষণের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। ধর্ষকের ধর্ষণ করার ইতিহাস আছে কি না বা প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। তা হচ্ছে না। ধর্ষণের শিকার নারীর বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটতে হবে।আলোচনায় ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার ৪ উপধারার কথা উল্লেখ করে বলেন, ধর্ষণের ক্ষেত্রে যিনি অভিযোগকারী তাঁর চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তোলা যাচ্ছে। অন্য কোনো আইনে এ ধরনের কোনো নজির নেই।পরামর্শ সভায় ব্লাস্টের সমন্বয়কারী (গবেষণা ও ডকুমেন্টেশন) ব্যারিস্টার নাওমী নাজ চৌধুরী ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সালে বিভিন্ন ধর্ষণ মামলার রায় পর্যালোচনা করে তৈরি করা প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। বিভিন্ন মামলার রায়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি যৌনকাজে ‘অভ্যস্ত’ ‘চঞ্চল’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।আলোচনায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক লুৎফা বেগম বলেন, ১৫৫ ধারার ৪ উপধারা ধর্ষকের জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে। এটা নিষ্ঠুরতা। মেয়েটি যদি খারাপও হয় তারপরও তাকে ধর্ষণ করার অধিকার কারও নেই। যৌনকর্মীর সম্মতি না নিয়ে যৌনকাজ করলে তা-ও ধর্ষণ।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নুরুন্নাহার ওসমানী ১৬ বছর জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীর কোনো লজ্জা নেই, লজ্জা ধর্ষকের; সমাজে এটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক দিনা এম সিদ্দিকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ফাতেমা সুলতানা এবং ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫-এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আসগর আলোচনায় অংশ নেন।
334,100
দিনাজপুর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৪
০৪ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৫
দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
প্রথম আলোর প্রতিনিধির জমি দখলের চেষ্টা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/64999
প্রথম আলোর দিনাজপুর প্রতিনিধি আসাদুল্লাহ্ সরকারের জমি স্থানীয় ভূমিদস্যুরা দখল করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার বিকেলে ভূমিদস্যুদের সন্ত্রাসীরা তাঁর জমির সীমানাখুঁটি ও জমিতে থাকা নলকূপ উপড়ে ফেলে। পাশাপাশি জমিতে এলে আসাদুল্লাহ্ সরকারকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে আসাদুল্লাহ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।আসাদুল্লাহ্ সরকার অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে তাঁর বাড়ির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জমির ভুয়া দলিল তৈরি করে পাশের মাশিমপুর গ্রামের মো. আশরাফ আলী ও মো. রাউফুল মিয়া তা দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। গত শুক্রবার সকালে আসাদুল্লাহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জরিপকারক দিয়ে জমিটি মাপযোগ করে সীমানাপ্রাচীর দেন এবং শনিবার সেখানে তিনি নলকূপ স্থাপন করেন। ওই দিন বিকেলে আশরাফ আলী ও তাঁর ছেলেরা সন্ত্রাসীদের নিয়ে ওই জমিতে যান। তাঁরা নলকূপ এবং সীমানাখুঁটি উপড়ে ফেলেন এবং জমিতে এলে আসাদুল্লাহকে স্বপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি দেন।ওই থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ঘটনা তদন্ত করার জন্য থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
25,322
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৫০
২০ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৫১
-1
0
সা হা য্যে র আ বে দ ন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/77701
মিফতায়ুল ইসলামটাঙ্গাইলের সখীপুর থানার কালীয়ান পাড়া নিবাসী মো. নজরুল ইসলামের শিশুপুত্র মিফতায়ুল ইসলাম মাফি (দুই বছর নয় মাস) ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। বর্তমানে সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য অন্তত ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই তার জন্য আর্থিক সাহায্য পেতে দেশের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করেছে তার পরিবার। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ১০৭.১০১.৩৩২৩৮০, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, কারওয়ান বাজার, ঢাকা। বিজ্ঞপ্তি।
29,392
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০২
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০৪
বিশাল বাংলা
0
মানববন্ধন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/447538
টানা অবরোধ ও হরতালে দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও এবং পুড়িয়ে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে জয়পুরহাট জেলা ১৪ দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। গতকাল সোমবার জয়পুরহাট শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বর এলাকায় প্রধান সড়কে বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়।মানববন্ধন শেষে কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী। বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল আলম, জেলা জাসদের সভাপতি আবুল খায়ের মো. সাখোয়াত, ওয়ার্কার্স পাটির জহুরুল ইসলাম প্রমুখ। জয়পুরহাট প্রতিনিধি
114,337
প্রথম আলো ডেস্ক
economy
অর্থনীতি
২১ জুলাই ২০১৩, ০০:৩৩
২১ জুলাই ২০১৩, ০০:৩৪
বাণিজ্য
0
সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে বিকেবি
http://www.prothom-alo.com/economy/article/27222
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) সদ্যসমাপ্ত ২০১২-১৩ অর্থবছরে মোট পাঁচ হাজার ৪৫১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে।এর মধ্যে তিন হাজার ২৭৯ কোটি টাকা দিয়েছে খাদ্যশস্য, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও দারিদ্র্য বিমোচন খাতে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৪৫ কোটি টাকা বেশি।আলোচ্য অর্থবছরে বিকেবি মোট পাঁচ হাজার ৬২৬ কোটি টাকার ঋণ আদায় করেছে। এই আদায় আগের অর্থবছরের চেয়ে এক হাজার ১৪৩ কোটি টাকা বেশি। বিজ্ঞপ্তি।
4,124
বান্দরবান প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৭
১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৭
আমার চট্টগ্রাম
0
থানচিতে ঝুলন্ত সেতু পরিত্যক্ত, দুর্ভোগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1059461
বান্দরবানের থানচি উপজেলার থানচি বাজারসংলগ্ন সেংগুম ঝিরির ওপর এক যুগেরও বেশি সময় আগে নির্মাণ করা হয়েছিল ঝুলন্ত সেতু। সেতুটি দিয়ে উপজেলার দক্ষিণ অংশের চান্দাকপাড়া, নারিকেলপাড়া, তংখ্যংপাড়া, শাহজাহানপাড়ার মানুষজন বাজার ও সদরে সহজে যাতায়াত করতেন। সেতু পার হতে সময় লাগত বড়জোর দুই থেকে তিন মিনিট। তবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে ওই সব এলাকার লোকজন।থানচি বাজারের লোকজন বলেন, যোগাযোগের সুবিধার জন্য ২০০২-২০০৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সেংগুম ঝিরির ওপর সেতুটি নির্মাণ করে। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে মেরামত বা সংস্কার না হওয়ায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেতু নির্মাণের ফলে টিঅ্যান্ডটিপাড়া, চান্দাকপাড়াসহ দক্ষিণাংশের মানুষের যাতায়াত সহজ হয়। তবে সেতুটি পরিত্যক্ত হওয়ায় এখন পাহাড়ি পথে অনেক দূর ঘুরে বাজারে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে বলে পাড়াবাসী জানিয়েছেন।থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা বলেন, প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ঝুলন্ত সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছিল। এ জন্য দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর পাটাতন খুলে দিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। টিঅ্যান্ডটিপাড়ার হাসিনা বেগ ও মোহাম্মদ সোহেল বলেন, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিটিসিএলের (টিঅ্যান্ডটি) কার্যালয় বাজারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। কার্যালয়ে যাতায়াত করতে হয় সেতু পার হয়ে। সেতুটি পরিত্যক্ত হওয়ায় অনেক ঘুরে লোকজনকে টিঅ্যান্ডটি কার্যালয়ে যেতে হচ্ছে।এ ছাড়া চান্দাকপাড়া, নারিকেলপাড়া, তংখ্যংপাড়া, শাহজাহানপাড়াসহ উপজেলা সদরের দক্ষিণ পাশের পাড়ার মানুষজন এই ঝুলন্ত সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেন।চান্দাকপাড়ার বাসিন্দা নুমংপ্রু মারমা বলেন, টিঅ্যান্ডটিপাড়া থেকে থানচি বাজারের দূরত্ব ১০০ গজের বেশি নয়। কিন্তু ঝুলন্ত সেতু পরিত্যক্ত হওয়ায় এখন যেতে হয় পাহাড় ডিঙিয়ে ও ঝিরি পার হয়ে। এতে সময়ও লাগে অনেক বেশি। দূর থেকে মালামাল নিয়ে বাজারে আসা কৃষকদের ভোগান্তি বেড়েছে। সেতুটি বন্ধ হওয়ায় বাজারের অনেক ব্যবসায়ীর ব্যবসাও কমে গেছে।উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা বলেন, নতুনভাবে নির্মাণ না করলে সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব হবে না। উপজেলা পরিষদ থেকে এত বড় কাজ করা সম্ভব নয়। এ জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হবে।পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, উন্নয়ন বোর্ড ঝুলন্ত সেতুর কিছু দূরে একটি গার্ডার সেতু নির্মাণ করেছে। সেই সেতুর ওপর দিয়ে লোকজন নিরাপদে চলাচল করতে পারে। বেশিসংখ্যক লোকজন চলাচলের জন্য ঝুলন্ত সেতু নিরাপদ নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
283,632
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৬
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৫৭
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
0
জনজীবন ভাষা ও সংস্কৃতি সম্মেলন শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/778048
‘প্রতিবেশীকে জানুন’—এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে ‘জনজীবন, ভাষা ও সংস্কৃতি সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচএ ভবনে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের গবেষকেরা অংশ নিচ্ছেন।সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে রাষ্ট্র, ভাষা, সমাজ, শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নানা অন্তরায়ের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতি গঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভাষা। এর জন্য আমরা জীবন দিয়েছি। কিন্তু আজ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেই বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয় না।সিরাজুল ইসলাম তাঁর প্রবন্ধে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি শিক্ষাব্যবস্থায় ভারসাম্যহীনতা ও অর্থনৈতিক অসমতার জন্য পুঁজিবাদকে দায়ী করেন। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য তিনি সামাজিক পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিজবাহ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান। সমাপনী বক্তব্য দেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনসুর মূসা। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি সেশনে সেমিনার হবে।গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভূগোল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী এম ইনামুল হক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী পানির ওপর সবার সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু এ প্রশ্নে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বেশ বিব্রতকর। পানিবণ্টনের ক্ষেত্রে ভারতের অসম নীতির কারণে বাংলাদেশকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ দেশের হাজার হাজার মানুষকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বারবার দাবি তোলার পরও তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। এ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকমল হোসাইন সভাপতিত্ব করেন। একই সেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খন্দকার হাসান মাহমুদ ও ভারতের অধ্যাপক শিশির কান্ত বিহারা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।বেলা তিনটায় দুটি সেমিনার হয়। ‘অঞ্চলের সংস্কৃতি’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। ‘ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদ শাহ কোরেশী। এ সেশনে ‘বাংলার মন্দির-স্থাপত্যে ঔপনিবেশিক প্রভাব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের সহযোগী অধ্যাপকপ্রবীর প্রামাণিক ও সহকারী অধ্যাপক শ্রীলা বসু। একই সেশনে ভারতের অধ্যাপক অভ্রা বোস, সহকারী অধ্যাপক রাজীব দুবে ও রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
204,340
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৮
০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০২
বিশাল বাংলা
0
সমাবর্তনে অংশ নেবেন না বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/418222
প্রথম বর্ষের পরিচিতিমূলক ক্লাস (ওরিয়েন্টেশন) ও আসন্ন সমাবর্তনে অংশ নেবে না বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালী দল’। গতকাল বুধবার বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা তাঁদের ভাষায় সরকারের গণতন্ত্র হত্যা ও দুঃশাসনের প্রতিবাদে মৌন মিছিল শেষে এ তথ্য জানান।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ডাকা হলে তাঁদের বাধা দিয়ে ফুল দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালী দল সাধারণ সভা করে ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডের বিচার দাবি করে। তারা উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দেয়। তবে গত ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ফুল না দেওয়ায় উল্টো সোনালী দলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে জানান বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা।প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় সোনালী দল গত মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরিচিতিমূলক ক্লাস ও আসন্ন সমাবর্তনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। সোনালী দলের সভাপতি এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মর্তুজা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে সংঘটিত ঘটনা প্রশাসনের আড়ালের অপচেষ্টা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোনালী দল আসন্ন ওরিয়েন্টেশন ও সমাবর্তনের সব কর্মসূচি থেকে বিরত থাকবে।বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যা ও দুঃশাসনের অভিযোগ এনে শিক্ষকেরা গতকাল বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমবেত হন। পরে তাঁরা কালো ব্যাজ পরে মৌন মিছিল করেন। মিছিলটি বিভিন্ন অনুষদের ভবন ঘুরে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সোনালী দলের সভাপতি বলেন, গণতন্ত্র আজ ইট-বালুর ট্রাকে বন্দী। খুব শিগগির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।শিক্ষকদের ওরিয়েন্টেশন ও সমাবর্তনে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য মো. রফিকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাঁরাও ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন। ওরিয়েন্টেশন ও সমাবর্তনের বিষয়ে সোনালী দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
104,954
একরামুল হক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০৮
০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:২৪
অপরাধ,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
বিচার বন্ধ করতে বিচারপতির সই জাল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1052441
তিনটি সিন্দুকের একটিতে ছিল ২৫০টি সোনার বার, দ্বিতীয়টিতে ৬০ লাখ টাকা, তৃতীয়টি ফাঁকা। গত বছরের ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজারের বাহার মার্কেটের একটি জুতার গুদাম থেকে সিন্দুক তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় যথারীতি চোরাচালানের অভিযোগে মামলা হয়, শুরু হয় তদন্ত। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। এরপরই লুকিয়ে থাকা ‘অদৃশ্য শক্তি’ তৎপর হয়ে ওঠে। মামলার বিচারকাজ বন্ধ করতে হাইকোর্ট থেকে ভুয়া আদেশনামা পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম আদালতে।গত বছরের ২৮ আগস্ট চোরাচালান মামলায় হাইকোর্ট ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন—এমন একটি জাল আদেশ তৈরি করা হয়। এরপর সেই জাল নথি নিয়ম মেনেই আসে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে। নথি পাওয়ার পর আদালত মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। কিন্তু এত বড় জালিয়াতির বিষয়টি গোপন রাখা যায়নি। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের নজরে আসে বিষয়টি। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ১৫ নভেম্বর জালিয়াতির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন; পাশাপাশি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বার কাউন্সিলকে আদেশ দেন।হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাহউদ্দিন আহমেদ গত বছরের ২০ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন। এতে চোরাচালান মামলার একমাত্র আসামি আবু আহম্মেদ ছাড়াও হাইকোর্টের কথিত আইনজীবী মো. আবদুল হক ও তদবিরকারী জহিরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। তদন্তে আবদুল হক ও জহিরুল ইসলামের অস্তিত্ব পায়নি শাহবাগ থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন আবু আহম্মেদ ও চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. তসলিম উদ্দিন। তাঁরা দুজনই এখন কারাগারে আছেন। আবু আহম্মেদের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি এলাকায়। নগরের পশ্চিম ষোলশহরের হিলভিউ আবাসিক এলাকায় তাঁর বাসা। আর অন্য একটি জালিয়াতির ঘটনায় গত বছরের ১৫ অক্টোবর তসলিম উদ্দিনের আইনজীবী সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে বার কাউন্সিল।চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, জায়গা নিয়ে জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে মো. তসলিম উদ্দিনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন বার কাউন্সিলের একটি ট্রাইব্যুনাল। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ আছে।প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবু আহম্মেদ ও আইনজীবী তসলিম উদ্দিনকে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা ছেড়ে দিই। পরে এই জালিয়াতির ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্ততা পেলে আমরা ১৫ ডিসেম্বর দুজনকে গ্রেপ্তার করি। এর মধ্যে আবুকে দুই দফায় চার দিন এবং তসলিমকে এক দফায় দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।’তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, সোনা চোরাচালান মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এর মধ্যে একজন আইনজীবী কলকাতায় আছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বিশাল চক্রকে ধরা যাবে। তদন্তে কথিত আইনজীবীদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জালিয়াতির ঘটনাটি বিচারপতি নিজস্ব সূত্রে জানতে পেরেছেন। সেখানে আমার নামও ব্যবহার করা হয়েছে। মো. আবদুল হক নামের আরেক আইনজীবীর (আবু আহম্মেদের আইনজীবী) নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আমি আবদুল হক নামের এক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও বিষয়টি জানতেন না। অর্থাৎ, একটি শক্তিশালী চক্র বিচারকদের সই জাল করেছে এবং রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা হিসেবে আমার নাম ও আইনজীবী আবদুল হকের নাম ব্যবহার করেছে।’চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার চোরাচালান মামলাটি তদন্ত করছেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তিনি আদালতের মাধ্যমে জেনেছেন।সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তও চলছে।
280,035
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ জুলাই ২০১৪, ০২:৩০
০৯ জুলাই ২০১৪, ০২:৩০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম বিভাগ
null
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/262789
৫ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘একজন ক্ষমতাধর উপাচার্য’ শীর্ষক খবরের প্রতিবাদ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়। এতে দাবি করা হয়, প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, মনগড়া এবং বিশেষ মহলের প্ররোচনায় অসৎ উদ্দেশে৵ করা।উপ-রেজিস্ট্রারের (তথ্য) সই করা প্রতিবাদে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং আইনের আলোকে উপাচার্যকে দেওয়া ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হয়ে প্রতিবেদক মিথ্যাচার করেছেন। তিনি মনগড়া ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর গত তিন বছরে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হওয়ার দাবি করে প্রতিবাদে বলা হয়, আইন ও অধ্যাদেশ সমুন্নত রেখে এবং অধ্যাদেশে বর্ণিত পর্যদসমূহ সক্রিয় রেখে ন্যায়নীতির ভিত্তিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন, যা দেশ-বিদেশে সুধীমহলে সমাদৃত হয়েছে। উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই বলেও প্রতিবাদে দাবি করা হয়।এদিকে গত ৫ ও ৬ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরের পৃথক প্রতিবাদ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন। দুটি সংগঠনের দেওয়া প্রায় একই রকম বক্তব্যে বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যসমূহ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং একটি বিশেষ মহলকে খুশি করার অপপ্রয়াস চালাতে এটা করা হয়েছে। সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে এসব সংবাদ প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানানো হয়।প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনে যেসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তার কোনোটাই ভিত্তিহীন, অসত্য বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। তা ছাড়া কোন তথ্যটি অসত্য বা ভিত্তিহীন তা তিনটি প্রতিবাদের একটিতেও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে এবং উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকতার নীতি মেনেই প্রতিবেদন দুটি প্রকাশ করা হয়েছে। উপাচার্যসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিষয়ে যত অনিয়ম খুঁজে পাওয়া গেছে, তার কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ও সুশাসন নিশ্চিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনাগুলো সবার সামনে তুলে ধরা এবং এসব বিষয়ে সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই প্রতিবেদন দুটি তৈরি করা হয়েছে। কোনো মহলের প্ররোচনায় প্রতিবেদন প্রকাশের প্রশ্নই ওঠে না।
76,152
অনলাইন ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ মার্চ ২০১৯, ০০:৫৮
০৮ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৬
ধর্ম,পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ
null
পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ ৩ এপ্রিল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1582396
বাংলাদেশের আকাশে বৃহস্পতিবার ১৪৪০ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। শুক্রবার জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। ৯ মার্চ শনিবার পবিত্র রজব মাস শুরু হবে। ৩ এপ্রিল (২৬ রজব) বুধবার রাতে পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ উদ্‌যাপিত হবে।ইউএনবির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি শেখ মো. আব্দুল্লাহ।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ৯ মার্চ পবিত্র রজব মাস শুরু হবে। আগামী ৩ এপ্রিল (২৬ রজব) রোজ বুধবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ উদ্‌যাপিত হবে।’
393,088
বাদল চৌধুরী
education
শিক্ষা
৩০ জুলাই ২০১৫, ০০:০২
৩০ জুলাই ২০১৫, ০০:০২
পড়াশোনা
0
ইংরেজি ২য় পত্র
http://www.prothom-alo.com/education/article/588004
Right form of verbsপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি ২য় পত্রের Right form of verbs-চর্চা করব এবং পরে এর উত্তর মিলিয়ে নেব।14.read—lit—indebt—receive—give—become—learn—be—invent—create Thomas Alva Edison (a) — up the world with his invention of the electric light. Without him, the world might still be a dark place. However, the electric light (b) — his only one invention. He also (c) — the phonograph, the motion picture camera and over 1,200 other things. Every two weeks he (d) — something new. Edison (e) — in a school. So, it is true that every (f) — man is self-educated. Education (g) — at institutions (h) — one inventive power. Science has (i) — indebted to him for his inventions. The present votaries of science (j) — to him greatly.Ans:a) lit (b) was not (c) invented (d) invented (e) did not read (f) learned (g) received (h) gives (i) become (j) are indebted.15.implement—finance—power—train—generate—earn—change—migrate—work—find Bangladesh has an agro-based economy. The farmers are the main (a) — of this economy. There are many poor and landless farmers. They don't have income (b) — projects to work on. Govt. and some NGOs are (c) — some projects for our rural development and poverty alleviation. Our unemployment people should have (d) — for self employment. They should be helped and (e) — for fish cultivation or other activities for earning. The trend of (f) — to the towns or cities should be (g) —. There should be Venus in the rural areas where the unemployed people will (h) — employment to (i) — their living. The Govt. and NGOs should (j) — jointly for this purpose. Ans:(a) power (b) generating (c) implementing (d) training (e) financed (f) migrating (g) changed (h) find (i) earn (j) work.শিক্ষক, ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
156,224
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
৩১ মার্চ ২০১৮, ২২:১৩
৩১ মার্চ ২০১৮, ২২:১৫
রাজনীতি
null
আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই: ফখরুল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1461106
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প দেখছেন না দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কোনো বিকল্প নেই, কোনো বিকল্প নেই—আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করব। তার আগে অন্য কোনো কিছু আমরা চিন্তা করছি না, করব না।’স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দেশে গণতন্ত্রের যতটুকু অর্জন হয়েছিল, যিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছিলেন, তাদের বিদায় করেছিলেন—যে গৃহবধূ থেকে দেশের পথে-প্রান্তরে গণতন্ত্রের গান গেয়ে বেড়িয়েছেন, আজকে সেই গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জায়গায়, প্রত্যেক মানুষ এখন শুধু অপেক্ষা করে আছে কখন একটা সুযোগ পাবে, সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এই সরকারকে একেবারে চিরতরে উৎখাত করে দেবে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এখন একেবারেই শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা সরকারের পতন ঘটাব। বাধ্য করব দেশনেত্রীসহ আমাদের সকল রাজবন্দীদের মুক্ত করবার জন্য।’এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মোস্তাফিজুর রহমান, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, ইয়াসিন আলী, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান, কাজী আবুল বাশারসহ বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবি করেন মির্জা ফখরুল।আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘একাদশ নির্বাচন নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। দেশনেত্রীকে নির্বাচন থেকে বাইরে রেখে, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বাইরে রেখে আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসনের ভোট ছাড়া নির্বাচন করতে চায়। আমরা বলতে চাই, ২০১৪ সালের মতো নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি দেশে হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দেশনেত্রীকে মুক্তি করতে আইনি লড়াই যথেষ্ট নয়। জনমত সৃষ্টি করতে হবে, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হবে।’সাবেক মেয়র ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশে একদলীয় বাকশালের শাসন চলছে, কোনো স্বাধীনতা নেই। কথা বলতে পারবেন না, মুখও খুলতে পারবেন না। বেশি কথা বলবেন তো জেলে ঢুকিয়ে দেবে।দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, ফজলুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
359,512
-1
sports
খেলা
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৩
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৪
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
৫০০
http://www.prothom-alo.com/sports/article/440791
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না ইংল্যান্ড। তবে কাল ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড পেরিয়েছেন একটি মাইলফলক। ইয়ান বোথাম ও জেমস অ্যান্ডারসনের পর ইংল্যান্ডের তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট হলো তাঁর। গতকালের ৩ উইকেটসহ তিন ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্রডের উইকেট এখন ৫০২। সব দেশ মিলিয়ে ৫০০ উইকেট নেওয়া বোলারের সংখ্যা ২৮ জন। এঁদের মধ্যে মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্নের উইকেটসংখ্যা হাজারের ওপর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ১৩৪৭টি উইকেট শ্রীলঙ্কান স্পিন-জাদুকর মুরালিধরনের। অস্ট্রেলীয় লেগ স্পিনার ওয়ার্নের উইকেট ১০০১টি। এখনো খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরির (৬৮৯টি)। ৩৬৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা সাকিব আল হাসান।
111,922
বিপাশা রায়
life-style
জীবনযাপন
০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:০৩
০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:১৩
রূপচর্চা
0
চোখে রঙের খেলা
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1031719
ইদানীং চোখের সাজে স্মোকি শব্দটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ পাশ্চাত্য বা যেকোনো ঘরানার পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এই চোখের সাজ৷ একটু ধোঁয়াটে বা একটু ফিকে রঙের এই আবহটাই কাজ করে স্মোকি সাজে৷ তবে এখন পর্যন্ত অনেকেরই ধারণা যে স্মোকি সাজে চোখে শুধু কালো রঙের ব্যবহারই প্রাধান্য পায়৷এই প্রসঙ্গে পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত খান জানালেন, স্মোকি সাজে চোখের পাতায় নানা রঙের একটা শেডের ছোঁয়া থাকে৷ সেটা হতে পারে গাঢ় বা হালকা যেকোনো রং৷ গাঢ় রঙের স্পর্শটা থাকবে শুধু চোখের কোণে৷ ধীরে ধীরে সেই রং হালকা হয়ে চোখের পাতার মাঝ বরাবর আসবে৷তাই শুধু কালোই নয়, অন্যান্য রঙেও রাঙাতে পারেন আপনার চোখ৷ স্মোকি সাজে রংটা ভালো করে ব্লেন্ড করাই হচ্ছে আসল কথা৷ ভালো করে আইশ্যাডোর রংগুলো চোখে মিলিয়ে দিলে তৈরি হবে একটা ধোঁয়াটে আবহ, যেটা আপনার চোখের সাজে আনবে স্মোকি আমেজ৷ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের রূপবিশেষজ্ঞ বাপন রহমান জানালেন, চোখে স্মোকি ভাব আনতে চাইলে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে৷ রাতে স্মোকি চোখ বেশি ভালো দেখায়৷ যেহেতু স্মোকি চোখে অনেক রঙের ব্যবহার করা হয়, তাই এটা দিনের বেলায় এড়িয়ে যাওয়া ভালো৷ তবে দিনের বেলা চোখ সাজাতে চাইলে কাজলের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন৷ এর পরিবর্তে বাদামি আর ছাই রঙের সমন্বয়ে সাজাতে পারেন চোখ। হালকা রঙের পোশাকের সঙ্গে স্মোকি চোখ বেশি মানায়। কাপড়ের পাশাপাশি লিপস্টিক আর ব্লাশনের রংটা হালকা হলে ভালো দেখাবে৷ এ জন্য পিচ, বাদামি, গোলাপির হালকা টোন ব্যবহার করতে পারেন৷ গয়না মুক্তার হলে স্মোকি চোখের সঙ্গে দেখতে ভালো লাগে৷
270,172
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৫৬
২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:০২
রাজনীতি
null
মানি হ্যাজ অ্যা রোল টু প্লে: ওবায়দুল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1047611
নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত নির্বাচনী ব্যয় অনেক জায়গায় লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মানি হ্যাজ অ্যা রোল টু প্লে—অস্বীকার করার উপায় নেই। সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ব্যয়সীমা মেনে চলা উচিত।’আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।দলের মন্ত্রী ও সাংসদদের জেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো অবস্থায়ই নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তাঁরা এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।দলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনে তাঁরা দলীয় মনোনয়ন দেননি। তবে অনেককেই সমর্থন দিয়েছেন। এই সমর্থনের বাইরে কেউ যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তাঁরা নিষেধ করতে পারেন না। কারণ, নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে।
277,721
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ মে ২০১৮, ২৩:১৪
৩১ মে ২০১৮, ১৩:২৮
অপরাধ,মানবপাচার,মালয়েশিয়া
null
ভাই-ভাইপোর জন্য থানায় পড়ে আছেন তিনি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1499711
ভাই ও ভাইপোকে ফিরে পাওয়ার আশায় গত তিন দিন ধরে পল্টন থানায় পড়ে আছেন ময়মনসিংহের কৃষক বাদল মিয়া। বাদলের দাবি, তাঁর ভাই মিজানুর রহমান এবং ভাইপো সুমনকে মালয়েশিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতন করছে মানবপাচারকারী চক্র। টাকা না দিলে তাঁদের মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে মানবপাচারকারীরা।বাদল মিয়া বলছেন, ১০ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাঁর ভাই ও ভাইপো। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার মামলা করেছেন তিনি। একজন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তারও করেছে পল্টন থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. কাশেম (৪০)। বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত আসামিকে এক দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, মালয়েশিয়ায় বাদলের ভাই ও তাঁর ভাইপোকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি কাজী আবদুল হালিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।বাদল প্রথম আলোকে বলেন, গত ২০ মে তাঁর ভাই মিজান ও ভাইপো সুমনকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। ২৫ মে মিজান মোবাইল ফোনে তাঁকে জানান, অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।মামলার এজাহারে বলা হয়, মানবপাচারকারী আসামি কাজী আবদুল হালিমের সঙ্গে বাদলের বড় ভাই নূর নবীর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মিজান ও সুমনকে পাঠানোর জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে তিন লাখ টাকা হালিমকে দেওয়া হয়। আর গত ২০ মে দেওয়া হয় আরও ৪ লাখ টাকা। পল্টনের সাইদ ইন্টারন্যাশনালের মালিক এম এ আবু সাঈদের অফিসে বসেই হালিমের হাতে টাকা দেন বাদল। মামলায় আবু সাঈদকেও আসামি করা হয়েছে। মিজান ও সুমনকে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার পর কাজী আবদুল হালিম আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বাদলকে চাপ দেন।আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে পুলিশ বলেছে, আসামিরা সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র। গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিদেশে বেশি বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে থাকে। মিজানুর ও সুমনকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।পল্টন থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী মিজান ও সুমনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পলাতক আসামি কাজী আবদুল হালিম ও এম এ সাঈদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।বাদলের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়ার জন্য আসামি হালিমের মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। কিন্তু হালিমের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম খান জানান, প্রধান আসামি হালিমের নামে আরও মামলা আছে। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
365,510
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ জুন ২০১৮, ২৩:৪৬
১৭ জুন ২০১৮, ২৩:৪৮
খুন,অপরাধ
0
চট্টগ্রামে তরুণ খুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1512211
চট্টগ্রাম নগরে মো. অনিক (২৬) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মোটরসাইকেলের হর্ন দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের চকবাজার থানার ব্যাটারি গলির মুখে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ জানায়, নিহত অনিক গাড়িচালক। নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মোটরসাইকেলের হর্ন দেওয়া নিয়ে অনিকের ছোট ভাই রনিকের সঙ্গে স্থানীয় তরুণ মহিউদ্দিন তুষার ও তার সহযোগীদের বিকেলে ঝগড়া হয়। এর জেরে তুষার তার সহযোগীদের নিয়ে রাতে হঠাৎ অনিককে একা পেয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় তারা অনিককে ছুরিকাঘাত করে।গুরুতর আহত অনিককে রাত পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির আলী।অনিক নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডের জনৈক মো. নাসিরের ছেলে।
367,514
-1
sports
খেলা
২৬ মার্চ ২০১৪, ০২:৩৪
২৬ মার্চ ২০১৪, ০২:৩৫
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
বাংলাদেশে এসেই তাঁর বদল!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/177394
সুযোগ হলে বারবার বাংলাদেশে আসতে চাইবেন উমর আকমল। কেন? উত্তরটা পেতে পারেন টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পুরো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং গড় যেখানে ৩৫.১১, সেখানে বাংলাদেশের মাটিতে সেটি ৫২.২৩! ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে এর চেয়ে ভালো গড় যে আর কোনো দেশেই নেই উমর আকমলের।এশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশে আসার আগে লাহোরে ট্রফিক পুলিশের সঙ্গে হাঙ্গামা বাধিয়ে কয়েক ঘণ্টা হাজতেও কাটিয়েছেন। মাঠের বাইরের এ ঘটনাকে আড়াল করার জন্য মাঠে রান পাওয়াটা তাঁর জন্য বড্ড জরুরি হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের এশিয়া কাপ তাঁকে দু হাত ভরে দিল। একটা সেঞ্চুরিসহ পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তো করলেনই, ৫ ম্যাচে ৮৪.৩৩ গড়ে ২৫৩ রান নিয়ে শ্রীলঙ্কার লাহিরু থিরিমান্নের (২৭৯) পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাঁর।কদিন পর বাংলাদেশের মাটিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঝলছে উঠলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৫৪ বলে ৯৪ করলেন, আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও করেছিলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান। সব মিলিয়ে সময়টা দারুণ কাটাচ্ছেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ম্যাচের পর বলেছিলেন, এটাই তাঁর ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস। এবার বলছেন, ক্যারিয়ারের সেরা সময়ই এখন কাটছে তাঁর, ‘ক্রিকেটকে ভালোবাসি আমি। তিন ফরম্যাটেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। জানি, এটা করতে হলে ধারাবাহিকভাবে রান করতে হবে আমাকে। আশা করছি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংসটাই হবে আমার ক্যারিয়ারের নতুন বাঁক।’ক্যারিয়ারে তাঁর বাঁক বদলের সময়টাতে জীবনও তো বাঁক নিচ্ছে। পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি আবদুল কাদিরের মেয়ে নূর আমনার সঙ্গে ১৬ এপ্রিল তাঁর বিয়ে। ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে নূরের সঙ্গে পরিচয় থেকে মন দেওয়া-নেওয়া। গত বছর বাগদানও হয়ে গেছে। ক্যারিয়ার সূর্যটা তো এই সময়ে মধ্য গগনে থাকা চাই। আর এর জন্য প্রস্তুত আকমল ভাইদের ছোটজন। পাকিস্তানের পক্ষে যত দিন সম্ভব খেলে যেতে চান, ‘তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই পাকিস্তান দলে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করাটা চ্যালেঞ্জের। তবে বেশি চ্যালেঞ্জ টেস্ট দলে স্থায়ী হওয়া।’ছন্দে থাকলে উমর আকমল ম্যাচ উইনার। কেউ কেউ তো তাঁর তুলনা করেন ভারতের ব্যাটিং সেনসেশন বিরাট কোহলির সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে উমর আকমল ‘ডাক’ করতেই পছন্দ করেন, ‘আমরা দুজন আলাদা ধরনের খেলোয়াড়। দুজনের শক্তি, দুর্বলতার জায়গাও আলাদা। তবে একটা জায়গায় মিল আছে—আমরা দুজনেই দলের হয়ে রান করাটা উপভোগ করি।’ ওয়েবসাইট।
61,112
আগরতলা প্রতিনিধি
international
আন্তর্জাতিক
২২ মার্চ ২০১৬, ০১:৫১
২২ মার্চ ২০১৬, ০১:৫২
ভারত
0
রাজ্যসভার সদস্য হলেন ত্রিপুরার ঝর্ণা দাস
http://www.prothom-alo.com/international/article/806248
ভারতের জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার একটি মাত্র আসনে প্রত্যাশামতোই ত্রিপুরা থেকে সিপিএমের প্রার্থীই পুনর্নির্বাচিত হলেন।৬০ সদস্যের রাজ্য বিধানসভায় বামফ্রন্টের আসনসংখ্যা ৫০, কংগ্রেসের ১০। সিপিএমের প্রার্থীর জয় নিশ্চিতই ছিল। স্বাভাবিক অঙ্কেই ঝর্ণা দাস বৈদ্য ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হচ্ছেন।তবে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সরকারিভাবে ভোটের ফল ঘোষিত হয়নি। কংগ্রেসের তরফে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বীরজিত সিনহা প্রথম আলোর কাছে দলের হার স্বীকার করে নিয়েছেন।
213,163
-1
entertainment
বিনোদন
০১ মার্চ ২০১৮, ১৮:৩৭
০১ মার্চ ২০১৮, ১৮:৪২
আনন্দ,আলাপন
null
একলা চলো রে...
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1441446
চলচ্চিত্রের আসনটা পাকাপোক্ত ছিল তাঁর। ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিবের সঙ্গে অনবদ্য জুটি। তিনি অপু বিশ্বাস। প্রেম, বিয়ে, সংসার এবং সবশেষ বিচ্ছেদ। সব মিলিয়ে কি খানিকটা বিপর্যস্ত তিনি! সম্প্রতি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। বলেছেন সামনের পরিকল্পনা নিয়েও। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শফিক আল মামুন।শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি কী মেনে নিয়েছেন?মেনে না নেওয়ার তো কোনো কারণ দেখি না। আমি সংসারটাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। পারিনি। সংসারজীবন এমন, যেখানে কোনো কাজে এক পক্ষ চেষ্টা করলে সফলতা আসে না।এখন আর কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন?দেখি কী করা যায়। তবে এসব নিয়ে আর ভাবতে চাইছি না। এখন বিষয়গুলো নিয়ে বিরক্ত। দরকার হলে করব, না হলে নাই। এখন পরেরটা আগে বলে লাভ নাই। সবকিছু আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।একটা পত্রিকার সাক্ষাৎকারে শাকিব খান বলেছিলেন, ‘সরি’ বললেই সংসার টিকে যেত। আপনি কী বলেন?এটি একেবারেই অবাস্তব কথা। আট বছর নীরবে আমি সংসার করেছি। সংসারটা সুন্দর করে সাজিয়েছিলাম। তবে বাবু (জয়) গর্ভে আসার পর শেষের চার মাস আমি খুব কষ্ট করেছি। ঠিকমতো শুতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি, হাঁটতে পারিনি। পুরো সময়টাই কষ্ট করতে হয়েছে। সেটা না হয় বাদই দিলাম, বিয়ের আট বছর আমি আমার ব্যক্তিজীবন আর অভিনয়জীবনকে আলাদা রেখেছিলাম, যাতে সংসার ও শুটিংয়ে এর কোনো প্রভাব না পড়ে। এত কিছু করার পরও যদি এখন বলা হয় ‘সরি’ বললেই ঠিক হয়ে যেত, সেটা খুবই হাস্যকর বিষয়। শুধু তাই-ই নয়, দেনমোহর নিয়েও শাকিব একটি মিথ্যা কথা বলেছে। দেনমোহর নাকি ৭ লাখ ১ টাকা।তাহলে দেনমোহরের পরিমাণ কত?১ কোটি ৭ লাখ ১ টাকা দেনমোহর। কাবিননামা শাকিবের কাছে। আমার কাছে কাবিননামার কপি থাকলে দেখাতে পারতাম। আর কাবিননামাটা যে এখন দরকার হবে, তা আগে বুঝিনি। কারণ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে মাথায়ই আসেনি। কিছু হলেও তো লেখাপড়া জানি। আমি নিজ চোখেই দেখেছি কাবিননামা ১ কোটি ৭ লাখ ১ টাকা।কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের পর দেনমোহরের টাকা আপনার ফেরত পাওয়ার কথা। এ ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কি শাকিবের পক্ষের কারও আলোচনা হয়েছে?না, এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তবে কাবিননামার কোনো টাকাই আমাকে দিতে হবে না। এসব নিয়ে যুদ্ধ করার আর দরকার নেই। আমি দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতেই খুশি। আর পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে ভালোবাসার জিনিস আমার সন্তান আব্রাম খান জয়। এমনকি জয়ের ভরণ-পোষণও শাকিবকে দিতে হবে না।কিন্তু আইন অনুযায়ী ভরণ-পোষণ সন্তানের বাবা দিয়ে থাকেন?দিলেও তো আমি এখন আর নেব না। বেশ কিছুদিন ধরে আমি সন্তানের খরচ শাকিবের কাছ থেকে নিই না। নিতেও চাই না। শুধু টাকাপয়সা দিলেই সন্তানের বাবা হওয়া যায় না। আমি কাজ করে, শ্রম দিয়ে টাকা রোজগাড় করে নিজের সন্তানকে বড় করতে চাই। শিগগিরই এই সিদ্ধান্তগুলো আমি আইনজীবীর মাধ্যমে শাকিব খানের কাছে পৌঁছে দেব।আইনগতভাবে একটা সময় ভাগাভাগি করে বাবা শাকিব খানের কাছেও জয়কে থাকতে দিতে হবে।না, আমার সন্তানকে আমি তাঁর বাবার কাছে নিরাপদ মনে করি না। কারণ এই সন্তানের কারণেই আমাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। সন্তান যখন আমার গর্ভে আসে, তখন শাকিব বলেছিল, সন্তান নিলে সম্পর্ক থাকবে না আর না নিলে থাকবে। সেই সময় শাকিবের কথায় আমি গুরুত্ব দিইনি। ভেবেছিলাম মজা করে বলছে সে। তা ছাড়া আমি তো একটা মেয়ে, দিন শেষে আমি একজন মা। তাই জেদ করেই সেই সময় আমি সন্তান নিয়েছি। কিন্তু এই সন্তান নেওয়ার কারণেই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। তাই সন্তানকে আমার মতোই গড়তে চাই। বড় হয়ে সবকিছু জেনে যদি জয় ওর বাবার কাছে যেতে চায়, যাবে। আমি বাধা দেব না।এখন দুটি পথ তো আলাদা হয়ে গেল। নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?এখন আমার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান আমার সন্তান ও কাজ। সন্তানকে গড়ে তোলার পাশাপাশি কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই। সন্তানকে নিয়ে বাকি পথ চলবো। অনেকটা একলা চলার মতো।বেশ কিছুদিন ধরেই কাজে ফেরার কথা শোনা যাচ্ছে। কবে থেকে শুরু করবেন?মা হওয়ার পর ওজন বেড়ে বেশ মুটিয়ে গিয়েছিলাম। এখন অনেকটাই কমেছে। আরও কমাতে হবে। নিয়ম মাফিক খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম করছি। কাজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে আরও মাস দেড়েক লাগবে।কয়েকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। শুটিং শুরু কবে?ওপারে চন্দ্রাবতী, কানাগলি, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২-এই তিনটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। শারীরিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই কাজগুলো করব। কানাগলি ছবিতে আগে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। তাই এই ছবি দিয়েই সিনেমার কাজ শুরু করতে চাই। আশা করছি আগামী মাসের শেষের দিকে শুটিং শুরু করতে পারব।এরই মধ্যে তো কিছু টেলিভিশন ও মঞ্চে শো করছেন।হ্যাঁ, এর মধ্যে তিনটি কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছি। টেলিভিশনের কিছু অনুষ্ঠান, কিছু বড় মঞ্চ শো করছি। এসব অনুষ্ঠান সিনেমাকেন্দ্রিক। ফলে কাজগুলো করতে সহজও হচ্ছে।
356,539
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জুলাই ২০১৫, ০১:০৩
২৬ জুলাই ২০১৫, ০১:০৪
রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,মহানগর
0
পাইলট প্রকল্পের পর্যালোচনা, তিন কর্মকর্তা পুরস্কৃত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/584833
রাজশাহী বিভাগের সরকারি অফিসগুলোতে আরও সহজে নাগরিক সেবাদানের লক্ষ্যে নেওয়া পাইলট প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা শেষে তিন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।গতকাল শনিবার বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে রাজশাহী সার্কিট হাউসে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদসচিব মোশারারফ হোসাইন ভূঁইঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান।অনুষ্ঠানে বিভাগের আট জেলা প্রশাসক নাগরিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের উদ্ভাবনী চর্চার অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরেন। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই কার্যক্রমের ওপর তৈরি প্রতিবেদনের নাম দেওয়া হয় ‘ইনোভেশন ফলোআপ ও সমন্বয়’।এই প্রকল্পের আওতায় নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তৌফিক আল মাহমুদকে মিস কেস মামলা নিষ্পত্তিকরণ ও রেকর্ডরুম ব্যবস্থাপনার জন্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিআরটিএর প্রকৌশলী স্বদেশ কুমার দাসকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরের উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন সিদ্দিকীকে দ্রুত কৃষি তথ্যসেবা সহজ করার জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
155,082
মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৯
২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৯
মতলব দক্ষিণ,চাঁদপুর,বিশাল বাংলা
0
মতলবের সেই ইউপির কার্যক্রম আবার শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/106744
পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুরু হয়েছে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে ৯ ডিসেম্বর পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কার্যক্রম শুরু হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৩০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ ইউনিয়নকে পৌরসভায় উন্নীত করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু পৌরসভার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এতে ১৪ জুলাই থেকে পৌরসভার কার্যক্রমের ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ দেন আদালত।এদিকে পৌরসভার ভিত্তিপ্রস্তর ভাঙার অভিযোগে উপজেলার পয়ালী গ্রামের লোকমান মিজি নামের এক ব্যক্তি ৮ আগস্ট ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।এ পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আত্মগোপন করেন। মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুসারে নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান না থাকায় তখন থেকে বন্ধ হয়ে যায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। এ পরিস্থিতিতে ৯ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উদ্যোগে এক সভায় পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য জাহানারা বেগম, সাধারণ সদস্য আবদুস ছাত্তার খন্দকার ও মইনউদ্দিন প্রধানকে যথাক্রমে ১, ২ ও ৩ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। ওই দিন থেকেই শুরু হয় পরিষদের কার্যক্রম।প্যানেল চেয়ারম্যান জাহানারা বেগম বলেন, ‘নির্বাচিত চেয়ারম্যান দায়িত্বে ফিরে না আসা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাব। এরই মধ্যে পরিষদের কার্যক্রম চালু হয়েছে।’ইউনিয়নের বাড়ৈগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আবু ছায়েম বলেন, অনেক দিন পর কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ইউনিয়নের ২৪ গ্রামের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।ইউএনও সফিকুল ইসলাম বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান করায় পরিষদের কাজকর্মে এখন থেকে আর অসুবিধা হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।গত ২০ নভেম্বর প্রথম আলোর বিশাল বাংলা পাতায় ‘পৌরসভা বাতিল, চলছে না ইউপি কার্যক্রমও’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
38,236
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০১ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৫১
০১ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৫৪
ইউরোপ
null
সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ
http://www.prothom-alo.com/international/article/1544951
ইউরোপের অনেক দেশের শিশুরা স্কুলে স্মার্টফোনসহ অন্য স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে যায়। পড়ার ফাঁকে ঢুঁ মারে স্ক্রিনে। এবার তা আর হবে না। শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স। ‘স্মার্টফোন বা স্মার্ট ডিভাইস’ স্কুলে নিতে পারবে না ফরাসি শিক্ষার্থীরা। কেউ স্কুলে স্মার্টফোন বা স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে গেলেও বন্ধ রাখতে হবে। গত সোমবারই দেশটির সংসদে এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছে।সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট ও অন্যান্য ডিভাইস যেগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়, স্কুলে সেসব ডিভাইস ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফ্রান্স। নিষেধাজ্ঞাটি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের স্কুলগুলোতে কার্যকর হবে। ৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্যই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নিজস্ব ‘স্মার্টফোন বা স্মার্ট ডিভাইস’ বাসায় রেখে স্কুলে যেতে হবে ফরাসি শিক্ষার্থীদের। কেউ স্কুলে তার স্মার্টফোন বা স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখতে হবে। শিশুদের ওপর নিষেধাজ্ঞাটি বাধ্যতামূলক হলেও, ১৫ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীসম্পন্ন উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলোতেও এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে কি না, তা ঠিক করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা বা সহশিক্ষা কার্যক্রমের মতো বিশেষ ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী করে তুলতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।শিক্ষামন্ত্রী জেন-মিশেল ব্লাঙ্কুয়ার দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘আমরা আজকাল দেখি যে স্ক্রিনের প্রতি আসক্তি বাড়ছে। এটা মোবাইলের নেতিবাচক ব্যবহার। আমাদের উচিত শিশুদের এখান থেকে বের করে আনা। স্কুল শিশুদের শিক্ষার অন্যতম প্রধান ধাপ। তাই আইনে শিশুদের মোবাইল বা স্টার্ম ভিডাইসের ব্যবহারের অনুমতি নেই।’
372,276
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ২০:৩৯
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ২০:৪০
চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম
0
চট্টগ্রামে চার থানার ওসি বদল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/701917
চট্টগ্রাম নগরে চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. আবদুল জলিল মণ্ডল নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে এ রদবদলের আদেশ দেন।রাতে নগর পুলিশ কমিশনারের স্টাফ অফিসার ও সহকারী পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ডবলমুরিং থানার ওসি এ এস এম নুরুল আলম তালুকদারকে থানা থেকে নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় (সিটিএসবি) এবং সিটিএসবির পরিদর্শক বশির আহমদ খানকে ডবলমুরিং থানার ওসি পদে, চান্দগাঁও থানার ওসি শাইরুল ইসলামকে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে এবং ডিবির পরিদর্শক শাহজাহান কবীরকে চান্দগাঁও থানার ওসি পদে, বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিনকে বায়েজীদ বোস্তামী থানার ওসি এবং নগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল মনসুরকে বাকলিয়া থানার ওসি পদে রদবদল করা হয়েছে।
179,800
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:২০
১৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:২০
বাণিজ্য
0
স্বচ্ছতা বাড়াতে উপজেলা নাগরিক কমিটি প্রয়োজন
http://www.prothom-alo.com/economy/article/121927
সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে উপজেলা পর্যায়ে সচেতন নাগরিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী তিন বছরের জন্য এ ধরনের কমিটি উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিভিন্ন ক্রয়-প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিবীক্ষণ করার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে।সরকারি ক্রয় সংস্কার প্রকল্প-২-এর অধীনে নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় পরিবীক্ষণের জন্য একটি খসড়া কাঠামো গতকাল চূড়ান্ত করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত একটি কর্মশালা গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন।বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগের (আইএমইডি) কেন্দ্রীয় কেনাকাটা কারিগরি ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক অমূল্য কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন আইএমইডি বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন, বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক পরিচালক ক্রিস্টিন ই কিমস। এতে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আইজিএসের ক্রয় বিশেষজ্ঞ নাসিরুল হক। কর্মশালায় বিভিন্ন খাতের সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরা অংশ নেন।প্রস্তাবিত খসড়া কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের সরকারি ক্রয়বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে একটি জোরালো প্রচার অভিযান প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া সর্বস্তরে, বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে স্বেচ্ছাব্রতী নাগরিক দল গঠন ও সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত পেশাজীবী ও পরিবীক্ষকদের একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
43,366
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ অক্টোবর ২০১৩, ০২:২৭
৩০ অক্টোবর ২০১৩, ০২:৩৩
রাজধানী (জাতীয়),রাজনীতি
0
সংবিধান সংশোধন ছাড়াই নির্দলীয় সরকার গঠন সম্ভব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/60853
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা বলেছেন, সংবিধান সংশোধন ছাড়াই দুই নেত্রীর প্রস্তাবের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন সম্ভব। তিনি ওই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিমের নাম প্রস্তাব করেন।গত সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হুদা এ প্রস্তাব করেন। ১১ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা উপস্থাপন করে তিনি বলেন, সংবিধানের ৫৬(১) ও ৫৬(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি ১০০ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ গঠন করবেন। প্রস্তাবিত মন্ত্রিপরিষদের ৯০ জন সাংসদ ও বাকি ১০ জন হবেন সাংসদ নন, তবে যোগ্য ব্যক্তিত্ব।নাজমুল হুদা বলেন, দুই নেত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী সাংসদ নন, এমন ব্যক্তিদের নাম সমান সংখ্যায় মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে সাংসদদের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী মন্ত্রী নিয়োগ সম্ভব।নাজমুল হুদার প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ৫৬ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফজলুল আজিমকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর নিয়োগের এক সপ্তাহের মধ্যে সংবিধানের ৫৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে নতুন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেবেন। এর পরই সংবিধানের ৫৭(১) (খ) উপ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হবে। এ ছাড়া সংবিধানের ৫৮(১) (খ) উপ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাংসদ নন, এমন মন্ত্রী ছাড়া অন্য মন্ত্রীদের পদ শূন্য হবে। এ পরিস্থিতিতে সাংসদ নন, মন্ত্রিপরিষদের এমন সদস্যরাই স্বপদে বহাল থাকবেন। এই আইনজীবী বলেন, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া না পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকালীন এই প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলবেন।
23,924
-1
international
আন্তর্জাতিক
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৩২
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৩
ভারত
0
আদালতে কানহাইয়া ও সাংবাদিকদের মারধর
http://www.prothom-alo.com/international/article/772903
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) ভারতবিরোধী স্লোগানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লির পাতিয়ালা হাউসের আদালত প্রাঙ্গণে এবার গ্রেপ্তার ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের ওপর হামলা হয়েছে। সাংবাদিকেরাও এ সময় আক্রান্ত হন। একই আদালতে দুদিন আগে কিছুসংখ্যক সরকারপন্থী উচ্ছৃঙ্খল আইনজীবীর মারধরের শিকার হয়েছিলেন জেএনইউয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও সাংবাদিকেরা।এদিকে জেএনইউয়ের ঘটনায় সৃষ্ট অস্থিরতার ছোঁয়া লেগেছে ভারতের নামকরা অন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে। পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাশ্মীরসহ কয়েকটি রাজ্যের স্বাধীনতা চেয়ে ও ফাঁসি হওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী কাশ্মীরি নেতা আফজাল গুরুর সমর্থনে পোস্টার লাগানো হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির।ভারতবিরোধী স্লোগানের ঘটনায় গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল গতকাল বুধবার। শুনানি উপলক্ষে কানহাইয়াকে আদালতে হাজির করার সময় তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।সোমবারের মতো গতকালও হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্রম সিং চৌহান নামের এক ‘সরকার সমর্থক’ আইনজীবীর বিরুদ্ধে। কানহাইয়ার মুক্তির দাবিতে সেদিন আদালতে সমবেত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের অন্যতম বলে চিহ্নিত হয়েছিলেন বিক্রম। কানহাইয়ার ওপর আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনায় গতকাল দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে আজ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।পরিস্থিতি মূল্যায়নে সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদলকে গতকাল পাতিয়ালা হাউস আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে সৃষ্ট অস্থিরতা ও নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে প্রতিনিধিদল দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, যা ঘটানো হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টের আদেশের মারাত্মক লঙ্ঘন।গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গতকাল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদী ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেন বিক্রম সিংসহ অন্য আইনজীবীরা। কানহাইয়াকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা এই ছাত্রনেতা ও অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান। এ সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি: এদিকে ভারতবিরোধী স্লোগান দেওয়ার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সন্ধানে রাজধানী ছাড়াও উত্তর প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং জম্মু ও কাশ্মীরে তল্লাশি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। আর জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রতিবেদনে সন্দেহভাজন আট শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
202,923
মহেশখালী প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:২৯
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৩০
আমার চট্টগ্রাম
0
বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা পরিবর্তনের দাবি এলাকাবাসীর
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/47411
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে জমির মালিকদের আপত্তির শুনানি হয়েছে গত বুধবার।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে ১৬২ জন জমির মালিক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রকল্পটির নকশা পরিবর্তন করে তা ধলঘাটার দক্ষিণে স্থাপন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সাইরার ডেইল এলাকায় সরকার গত বছরের শুরুতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের জন্য জায়গা নির্ধারণসহ মাঠপর্যায়ে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের জরিপকাজ শেষ করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থানীয় অবকাঠামো স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে মাতারবাড়ি ইউনিয়নের এক হাজার ৩৬৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রথম দিকে স্থানীয় লোকজন তেমন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও গত ১৩ আগস্ট জমি অধিগ্রহণের নোটিশ পেয়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা প্রকল্পটি বাতিলের দাবি জানান।মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করার ব্যাপারে ১৩ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ২৮৬ জন জমির মালিককে নোটিশ দেন। আমরা আপত্তি জানিয়ে বলেছি, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকার জনগণ চায় না।’শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী মিজবাহ উদ্দিন বলেন, শুনানিকালে জমির মালিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা পরিবর্তন করে তা ধলঘাটার দক্ষিণে স্থাপন করার দাবি জানান।
16,747
হারুনুর রশীদ
education
শিক্ষা
২২ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০২
২২ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০২
পড়াশোনা
0
বাংলা ২য় পত্র
http://www.prothom-alo.com/education/article/1064273
 ৫ নম্বর প্রশ্নপ্রিয় পরীক্ষার্থী, বাংলা ২য় পত্রের বাক্যের রূপান্তর দেওয়া হলো।প্রশ্ন: নিচের বাক্যগুলোতে নির্দেশ অনুসারে রূপান্তর করো।প্রশ্ন-১১. ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয়। (জটিল)২. অনেকের জীবনে প্রথমে দুঃখ আসে, পরে সুখ আসে। (সরল)৩. বিদ্বান হলেও তার অহংকার নেই। (যৌগিক)৪. মিথ্যাবাদীকে সবাই অপছন্দ করে। (নেতিবাচক)৫. এ জন্যই তোমাকে সবাই প্রিয়ংবদা না বলে পারে না। (অস্তিবাচক)৬. বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কী, তা জানতে চাই। (প্রশ্নবোধক)৭. সত্য কথা না বলে বিপদে পড়েছি। (জটিল)উত্তর: ১. যারা ধনী, তারা প্রায়ই কৃপণ হয়।২. অনেকের জীবনে দুঃখের পরে সুখ আসে।৩. তিনি বিদ্বান বটে, কিন্তু নিরহংকারী।৪. মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না।৫. এ জন্যই তোমাকে সবাই প্রিয়ংবদা বলে।৬. বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কী?৭. সত্য কথা বলিনি, তাই বিপদে পড়েছি।প্রশ্ন-২১. আমারও ইহাদের উপর সহোদর স্নেহ আছে। (নেতিবাচক)২. এসব কথা সে মুখে আনিতে পারিত না। (অস্তিবাচক)৩. ছাত্রদের বিদ্যালয়ের সংখ্যা গণনা করা যায় না। (প্রশ্নসূচক)৪. তোমাকে এই কটা দিন মাত্র জানিলাম, তবু তোমার হাতেই ও রহিল। (সরল)৫. পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। (জটিল)৬. সে অনেক চেষ্টা করে সাফল্য লাভ করেছে। (যৌগিক)৭. এ অবস্থায় কেউ কাউকে চিনতে পারে না। (অস্তিবাচক)উত্তর: ১. আমারও ইহাদের ওপর সহোদর স্নেহ যে নেই তা নয়।২. এসব কথা সে মুখে আনিতে অপারগ।৩. ছাত্রদের বিদ্যালয়ের সংখ্যা কি গণনা করা যায়?৪. তোমাকে এই কটা দিন মাত্র জানা সত্ত্বেও তোমার হাতেই ও রহিল।৫. যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে পৃথিবীতে সবকিছুই করা সম্ভব।৬. সে অনেক চেষ্টা করেছে, তাই সাফল্য লাভ করেছে।৭. এ অবস্থায় কেউ কাউকে চিনতে পারা অসম্ভব।প্রশ্ন-৩১. যদিও তিনি বিদ্বান, তবুও তার বিন্দুমাত্র অহংকার নেই। (সরল)২. যে মিথ্যা কথা বলে তাকে কেউ ভালোবাসে না। (সরল)৩. কোথাও ধার পেলাম না বলে তোমার কাছে এসেছি। (সরল)৪. যদি পাস করতে চাও, তাহলে পড়ো। (সরল)৫. আমার এমন কিছু নেই, যা তোমাকে দিতে পারি। (সরল)৬. গাছটি ওপড়ানোর জন্য কারও হাত কি এগিয়ে আসে? (না-বোধক নির্দেশাত্মক)৭. আমরা বাধা দিতে পারলাম না। (অস্তিবাচক)উত্তর: ১. তিনি বিদ্বান হলেও নিরহংকারী।২. মিথ্যাবাদীকে কেউ ভালোবাসে না।৩. কোথাও ধার না পেয়ে তোমার কাছে এসেছি।৪. পাস করতে চাইলে পড়ো।৫. তোমাকে দেওয়ার মতো আমার কিছু নেই।৬. গাছটি ওপড়ানোর জন্য কারও হাত এগিয়ে আসে না।৭. আমরা বাধা দিতে অক্ষম ছিলাম।প্রশ্ন-৪১. সরস্বতী বর দেবেন না। (প্রশ্নবোধক)২. তিনি ধনী হয়েও সুখী ছিলেন না। (যৌগিক)৩. সে দরিদ্র বটে, কিন্তু সত্যবাদী। (জটিল)৪. যারা জ্ঞানী, তারা সত্যিকার ধনী। (সরল)৫. শীতে দরিদ্র মানুষের খুব কষ্ট হয়। (বিস্ময়সূচক)৬. সে একটু বিস্মিত না হয়ে পারে না। (অস্তিবাচক)৭. এটা নিঃসন্দেহ যে তুলসীগাছটির যত্ন নিচ্ছে কেউ। (নেতিবাচক)উত্তর: ১. সরস্বতী কি বর দেবেন না?২. তিনি ধনী ছিলেন, কিন্তু সুখী ছিলেন না।৩. যদিও তিনি দরিদ্র তথাপি তিনি সত্যবাদী।৪. জ্ঞানীরাই সত্যিকার ধনী।৫. শীতে দরিদ্র মানুষের কী কষ্ট!৬. সে একটু বিস্মিত হলো।৭. সন্দেহ থাকে না যে, তুলসীগাছটির কেউ যত্ন নিচ্ছে। বাকি অংশ ছাপা হবে আগামী বুধবারসহকারী অধ্যাপক, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ঢাকা
313,000
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৫৭
১২ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৫৮
সরকার
null
নির্মাণকাজে দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1286441
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরও সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আগামী মে মাসের মধ্যে এ অর্থবছরের সব কাজ শেষ করতে করতে হবে। কোনো গাফিলতি চলবে না। নির্মাণে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।শিক্ষামন্ত্রী আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়নকাজ সম্পর্কিত মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রকৌশলীদের মাঝে মোটরসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।এ সময় ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ ৫০০ ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে। গত সাড়ে আট বছরে শিক্ষার্থী প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছে। ফলে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তাও অনেক বেড়েছে।শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ। পরে ৩০০ প্রকৌশলীর মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে মোটরসাইকেলের চাবি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী।
332,226
আনোয়ারা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ মে ২০১৫, ০১:২০
২১ মে ২০১৫, ০১:২১
আমার চট্টগ্রাম
0
চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল এলাকা পরিদর্শনে ভারতীয় পরামর্শক প্রতিনিধিরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/533209
চীন সরকারের অর্থায়নে আনোয়ারায় চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনের জন্য অবকাঠামোগত অবস্থা দেখে গেলেন ভারতীয় পরামর্শক মাহিন্দ্র কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রতিনিধিরা। গত রোববার ওই প্রতিনিধিরা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আনোয়ারার বটতলী, হাজীগাঁও, বেলচূড়া ও বৈরাগ মৌজার ৭৭৪ দশমিক ৫২৫ একর জায়গায় চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভূমি জরিপ শেষে ইতিমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে এটি অনুমোদনও হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন হলেই শিগগিরই পুরোদমে শুরু হবে প্রকল্পের কাজ।প্রশাসন জানায়, প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ করার জন্য ভারতীয় মাহিন্দ্র কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের জন্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদেরই তিন সদস্যের একটি দল টি সত্যামূর্তির নেতৃত্বে রোববার প্রকল্প এলাকা ঘুরে যায়। পরে তাঁরা সড়ক, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহের সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। এ সময় আনোয়ারার সার্ভেয়ার রতন চন্দ্র বৈষ্ণব ও ভূমি কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওবাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনের জন্য মাহিন্দ্রসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান দুই বছরের জন্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। তারা বিভিন্ন অবকাঠামোগত কাজ করবে। এ জন্য কাজ শুরুর আগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। পরিদর্শন শেষে তঁারা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
140,767
আনন্দ প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:২৮
১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৩২
আনন্দ
0
লক্ষ্যাপার: সুরে-কুয়াশায় একাকার
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1411636
‘সবকিছু দেখে-শুনে আমি তো অবাক...যাদের বড় কোন স্পনসর নেই, অর্থলগ্নিকারী নেই, তারা কীভাবে এত সুন্দর একটা ক্লাসিক্যাল অনুষ্ঠান করে? ওখানে পৌঁছবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরিষ্কার হলো বিষয়টা; আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, যত্ন আর নিখাদ পরিশ্রম দিয়ে গড়া লক্ষ্যাপারের এই আয়োজন। এখানে উপস্থিত প্রত্যেক শ্রোতারই আলাদাভাবে লক্ষ্যাপারের মানুষের এই ভালোবাসার ছোঁয়া পাওয়া হয়ে যায়।’ বলছিলেন এই প্রথম লক্ষ্যাপারের রাতভর গানের আসরে ঢাকা থেকে যোগ দিতে যাওয়া একজন শ্রোতা। সত্যি তাই। এ রকম সব মানবিক সম্পদ কাজে লাগিয়েই লক্ষ্যাপার পাড়ি দিয়ে ফেলল ‘নয় নয় করে’ নয় বছরের পথ।বাংলার অসামান্য সংগীতসাধক বারীণ মজুমদারকে উত্সর্গ করা এবারের আয়োজন সাজানো হয়েছিল দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায়। প্রথম দিন নারায়ণগঞ্জের প্রিপারেটরি স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শাস্ত্রীয় সংগীত প্রতিযোগিতা, যার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয় নতুন বছরের জন্য কে কে হবে ‘হারাধন-সুখেন শাস্ত্রীয় সংগীত প্রাণোদনা বৃত্তি’র অধিকারী।নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কনভেনশন সেন্টারে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ছিল ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ‘বাহাস’—তলস্তয়ের ক্রেইৎজার সোনাটা নভেলাকে আশ্রয় করে ‘সাহিত্যে সংগীত’ নিয়ে আলোচনা। বিকেল ৫টার এই পর্বে অধ্যাপক মানস চৌধুরী, জগলুল আসাদ ও অমল আকাশ যুক্তি তর্ক গপ্পে মাতিয়ে তোলেন সবাইকে।অনেক প্রতীক্ষার রাতভর গানের আসর শুরু হয় রাত আটটায়। লক্ষ্যাপার পরম্পরার শিক্ষার্থীদের সমবেত পরিবেশনা ‘অষ্ট-কল্যাণ’-এর বৈচিত্র্যময় সুরে ভরে ওঠে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কনভেনশন হল। এরপর ‘পুরিয়া ধানেশ্রী’ রাগে খেয়াল শোনান বেঙ্গল স্কলার কানিজ সিমপী। মিলনায়তনে তখন তিন শতাধিক মানুষের সমাগম। শুরু হয় ‘লক্ষ্যাপার আজীবন সম্মাননা’ প্রদান। শিল্পী ও সংগীতবিশারদ আজাদ রহমান সম্মাননা গ্রহণ করে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এখানে না এলে আমার জীবন অপূর্ণ রয়ে যেত।’প্রীতিভোজের বিরতির আগে মঞ্চে এসে ‘চন্দ্রকোষ’ রাগে শ্রোতাদের উদ্বেলিত করেন আহমেদ ব্রাদার্স নাম পাওয়া তিন সহোদর—সবুজ আহমেদ (তবলা), শান্ত আহমেদ (বেহালা) ও কামরুল আহমেদ (বাঁশি)। পণ্ডিত তুষার দত্তের ‘গোরক কল্যাণ’ রাগে খেয়ালের পর অতিচেনা সুরের শিবরঞ্জনী দাদরায় চোখ ছলছল করে ওঠে অনেকের। পণ্ডিত বিপ্লব ভট্টাচার্যের অনবদ্য তবলা সংগতে চতুরঙ্গী যন্ত্রে ‘কিওয়ানি’ বাজিয়ে শোনান তরুণ শিল্পী সোমরঞ্জন চক্রবর্তী। রেজোয়ান আলীর ‘গুর্জরি টোড়ি’ বড় মায়া জাগায়। শেষ শিল্পী অর্ণব ভট্টাচার্য ‘বৈরাগী’র রূপায়ণের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দেন সারা পৃথিবীকে মোহিত করতে প্রস্তুত তাঁর সরোদ। সকাল সাড়ে ছয়টায় পৌষের কুয়াশার মতো সুরে আচ্ছন্ন হয়ে বাড়ি ফেরেন শ্রোতারা। সার্থক লক্ষ্যাপারের নবম সম্মিলন।
351,868
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৪৮
২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৫০
বিশাল বাংলা
0
হাতের কাছে চিকিৎসাসেবা বাক্স
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1046169
কারখানায় কাজ করার সময় বাঁ হাতের আঙুল কেটে যায় জসিম উদ্দিনের। কারখানাতেই ছিল জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা বাক্স। সঙ্গে সঙ্গে ওই বাক্স থেকে ওষুধ এনে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে তা বেঁধে দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে ভালো হন জসিম।এ ধরনের আঘাত পেলে শ্রমিকদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ দোকান ও কারখানায় ৪৫০টি জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স (ফার্স্টএইড বক্স) দিয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন এ উদ্যোগ নিয়েছে। এ বাক্সে আট ধরনের ওষুধ আর চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গজ-ব্যান্ডেজ, তুলা, গ্যাসের ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আছে।ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মাহি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, তাঁর গ্যারেজে ছয়জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের সারাক্ষণ হাতুড়ি, লোহা আর ধারালো অস্ত্র নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। তখন তাঁদের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে নিতে হয়। এখন তাঁদের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার এই বাক্স থাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে জেলা শহর, কালীগঞ্জ, কোলা ও বারোবাজার এলাকায় তাঁরা প্রাথমিক জরিপ করেন। ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁরা ওই সব বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা, মাছের আড়ত, স মিল, খাবার হোটেল, টেইলার্সসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৪৫০টি ফার্স্ট এইড বক্স বিতরণ করেন। ওই বাক্সগুলোর ওষুধ বা সরঞ্জাম শেষ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দোকানগুলোর মালিকেরা নতুন ওষুধ কিনবেন।কোলা বাজারের সোনিয়া ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক শওকত আলী বলেন, আশপাশের যেকোনো দোকানের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আহত শ্রমিক তাঁর দোকানে চলে আসেন। এই বাক্স থাকায় আশপাশের অনেক শ্রমিকের উপকার হচ্ছে।কালীগঞ্জ শহরের একতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক কামাল হোসেন বলেন, এসব সরঞ্জাম কীভাবে ব্যবহার করা হয়, এ বিষয়ে তাঁদের একটা প্রশিক্ষণ দিলে আরও ভালো হয়।সোনার বাংলার নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাস বলেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তাঁরা কাজ করছেন। আশা করছেন ভবিষ্যতে আরও কিছু বাক্স দিতে পারবেন।
277,257
ফেনী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:৫৪
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:৫৫
ফেনী,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ
0
বাবাকে কুপিয়ে কলেজছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1083117
ফেনীর ফুলগাজীতে ঘরে ঢুকে বাবাকে কুপিয়ে এক কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।গত বুধবার রাতে উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে হানা দেয়। তারা নিজেদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা ওই ছাত্রীকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। এ সময় দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে গেলে ওই ছাত্রীর বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীকে জোর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। ঘটনাটি অল্প সময়ের মধ্যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন। রাত ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বরকত উল্যাহ সড়কে অটোরিকশা থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও মাঈনউদ্দিন চৌধুরী শাহিন (১৯) নামের একজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মো. ইউনুস (২৭), মো. মজনু (২৮), মাঈন উদ্দিন চৌধুরী শাহিন (১৯) ও মো. মুছা (২৯) নামের চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফুলগাজী থানায় মামলা করেছেন।ফুলগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
294,402
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১৭ এপ্রিল ২০১৪, ১৪:০৬
১৭ এপ্রিল ২০১৪, ১৪:০৭
শেয়ারবাজার
0
১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে ইসলামিক ফিন্যান্স
http://www.prothom-alo.com/economy/article/194680
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ইসলামিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৬ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। ইসলামিক ফিন্যান্সের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।আজ ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ইসলামিক ফিন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ-সংক্রান্ত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট ২৮ এপ্রিল।প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের নিট মুনাফা হয়েছে আট কোটি ৬০ লাখ টাকা। একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ৭৭ পয়সা।
66,295
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ এপ্রিল ২০১৫, ০৩:০৭
২২ এপ্রিল ২০১৫, ০৩:০৮
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,বিশাল বাংলা,ঢাকা বিভাগ
0
শিক্ষক লাউঞ্জ পুনর্বহালের দাবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/509353
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জটি পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলা ও মানবিকী অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে ইতিহাস বিভাগের একটি কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আনিছা পারভীন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৮ মার্চ নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জটি বাংলা বিভাগ দখল করে নেয়। এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লাউঞ্জটিকে বাংলা বিভাগের কাছ থেকে অবমুক্ত করে তালা লাগিয়ে দেয়। এ নিয়ে কলা ও মানবিকী অনুষদের ৭৪ জন শিক্ষক এর নিন্দা জানিয়ে উপাচার্যের কাছে লাউঞ্জটি খুলে দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু উপাচার্য মৌখিক আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যার ফলে উপাচার্যের বক্তব্য মিথ্যা আশ্বাসে পরিণত হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে লাউঞ্জটি খুলে না দিলে শনিবার প্রশাসন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের শিক্ষক এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, রায়হান রাইন, সৈয়দ নিজার আলম প্রমুখ।
133,176
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২৬
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২৭
গাইবান্ধা,গোবিন্দগঞ্জ,আইন ও বিচার
0
সাঁওতালদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ জানাতে নির্দেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1082261
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের পুনর্বাসনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত রুলের পাশাপাশি এ আদেশ দেন। রুলে ওই ঘটনায় উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের পুনর্বাসনে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ভূমিসচিব, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গোবিন্দগঞ্জের ইউএনও ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।গত বছরের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকায় ওই সংঘর্ষে কয়েকজন সাঁওতাল নিহত ও পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। সাঁওতালদের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ ও সংঘর্ষের পর ইচ্ছাকৃতভাবে আলামত নষ্ট করার অভিযোগে ডিসেম্বরে রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষের বরাবরে নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুপ্রকাশ দত্ত অমিত। এর জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন।আইনজীবী সূত্র বলেছে, রুলে ওই ঘটনার পর ইচ্ছাকৃতভাবে আলামত নষ্ট করার অভিযোগে রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি কী কারণে ওই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, তা জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে চিনিকলের এমডিকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় চিনিকলের এমডির পক্ষে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এর ওপর শুনানি শেষে গতকাল আদালত স্বতঃপ্রণোদিত ওই রুল দেন।আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী সুপ্রকাশ দত্ত নিজে শুনানিতে অংশ নেন। রংপুর চিনিকলের এমডির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাছুম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
294,141
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মার্চ ২০১৫, ২০:৩২
০৬ মার্চ ২০১৫, ২০:৩৫
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ
null
ত্বকীকে নিয়ে সংবাদ দেখতে পারছে না নারায়ণগঞ্জবাসী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/469852
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর আহমেদ ত্বকীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো প্রতিবেদন দেখতে পারছে না নারায়ণগঞ্জবাসী। আজ শুক্রবার বেলা দুইটা থেকে ত্বকীকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারের সময় কেবল সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। ত্বকীর হত্যা নিয়ে প্রতিবেদন শেষ হতেই আবার চালু করা হয় সংযোগ।আজ ৬ মার্চ তানভীর মুহম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ত্বকীকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার করতে শুরু করে। কিন্তু বেলা দুইটার সংবাদ শুরু হওয়ার পরপরই নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরে কেবল সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ত্বকীকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারের পর আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংযোগ। এর পর থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত প্রতিটি সংবাদে একইভাবে কেবল সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০-১৫ মিনিট পর আবার সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।নিহত ত্বকীর বাবা এবং সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী বলেন, ‘ত্বকীর খুনিরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে আজ জনগণের ভোট ছাড়াই এমপি হয়ে গেছে। ত্বকীর সংবাদ প্রচার বন্ধ করে খুনিরা আবারও নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে প্রমাণ দিল, তারাই ত্বকীকে খুন করেছে। ক্ষমতা, অবৈধ অস্ত্র ও পেশিশক্তির ভয় দেখিয়ে তারা কেবল অপারেটরদেরও বাধ্য করছে তাদের মতো কাজ করতে।’ত্বকীর সংবাদ প্রচারের সময় কেন কেবল সংযোগ থাকছে না, জানতে চাইলে, নগরে স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচারকারী এসবি কেবলের একজন কর্মী জানান, মালিক আবদুল করিম বাবু দেশের বাইরে। তাদের কাছে সম্প্রচার বিঘ্ন হচ্ছে বলে কেউ অভিযোগ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।২০১৩ সালের ৬ মার্চ নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর ৮ মার্চ শহরের চারারগোপ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করা হয়।আরও পড়ুন:আজমেরীর নেতৃত্বেই হত্যা
120,712
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
১৩ জুলাই ২০১৪, ০১:০৪
১৩ জুলাই ২০১৪, ০১:০৫
হলিউড
0
বিয়ে নিয়ে পামেলার কবিতা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/265909
তিনজন স্বামীকে বিয়ে করেছেন চারবার। রিক সলোমনকেই বিয়ে করেছেন দুবার। সেই বিয়েটাও টিকল না। বিয়ে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই পামেলা অ্যান্ডারসনের অভিজ্ঞতাটা তিক্ত। সলোমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরপরই নিজের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেসবুকে বড়সড় একটা কবিতা পোস্ট করেছেন এই ‘বেওয়াচ’ তারকা। সেই কবিতায় পামেলা লিখেছেন, ‘আমি প্রেমে পড়তে ভালোবাসি। কিন্তু প্রত্যাশার দাবি সুখী হওয়াকে কঠিন করে তোলে।’ পুরুষদের বিরুদ্ধে তাঁর তির, ‘কোনো পুরুষই আমাকে বুঝতে পারেনি।’ বলেছেন, কখনোই ধনী ব্যক্তিকে বিয়ে করতে নেই। আইএএনএস।
77,382
-1
economy
অর্থনীতি
২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৫২
২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৩
বাণিজ্য
0
অডিটর পদের পরীক্ষা স্থগিত
http://www.prothom-alo.com/economy/article/436177
৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের (সিএজি) অডিটর পদের লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে। বিজ্ঞপ্তি।
110,565
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪১
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪২
অপরাধ,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
রপ্তানির আড়ালে ৫২ হাজার ডলার পাচারের চেষ্টা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/712597
মাত্র এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দুটি কনটেইনার ভর্তি পোশাকের চালানটি জাহাজে তুলে দিলেই দেশ থেকে পাচার হয়ে যেত ৫২ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪২ লাখ টাকা।চালানটি রপ্তানির জন্য গত রোববার শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে তার আগেই শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে চালানটি। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের বেসরকারি ডিপো এছাক ব্রাদার্স লিমিটেডের চত্বর থেকে চালানটি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তারা।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সোনালী ব্যাংকের নথিপত্র জাল করে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় ডিএমডি বুটিকের ঠিকানায় চালানটি পাঠাচ্ছিল ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়ার এসএম ডিজাইন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি দুটি কনটেইনারে ৫২ হাজার ৮৩৪ মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছিল।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানির জন্য ব্যাংকের দলিলপত্র জাল করায় রপ্তানির টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসত না। অর্থাৎ এই টাকা পাচার হয়ে যেত। চালানের টাকা ম্যানিলায় পরিশোধ হতো। এটি বড় ধরনের জালিয়াতি। প্রতিষ্ঠানটিগত তিন বছরে ৯১টি চালান রপ্তানি করেছে। সেসব চালানের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।জাকির হোসেন বলেন, চালানটি জব্দ করার পর শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রপ্তানিকারক এসএম ডিজাইনের ঠিকানায় গিয়ে দেখতে পান যে সেখানে আবাসিক ভবন রয়েছে।শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক কিলোমিটার দূরে এছাক ব্রাদার্সের ডিপোতে পোশাকের চালানটি কনটেইনারে বোঝাই হয়। নিয়মানুযায়ী, শেষ ধাপে এটি ডিপো থেকে বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হতো।
183,609
-1
opinion
মতামত
২০ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৬
২০ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৬
সম্পাদকীয়:
0
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুতের ভুল!
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1589772
টাঙ্গাইলের দরিদ্র পাটকলশ্রমিক জাহালম ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ না নিয়ে প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা, ঋণগ্রহীতা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তাঁর ওপর এই অন্যায় করা হয়েছিল, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।জাহালমের ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় হওয়ার পর ধারণা করা গিয়েছিল, এ রকম জালিয়াতির ঘটনা আর ঘটবে না। কিন্তু কুমিল্লার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মামলায় মুরাদনগর উপজেলার দিনমজুর আবদুল মতিনকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে। যে ব্যক্তির বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই, মিটার নেই, সেই ব্যক্তিকেই বিলখেলাপি বানিয়েছে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।ঘটনা হলো, চার বছর আগে মোচাগড়া গ্রামের ২৫৬টি পরিবার বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কাছে আবেদন করে। আবেদনকারীদের মধ্যে মতিনের নামও ছিল। গ্রামের দুই ব্যক্তি তখন সংযোগ বাবদ প্রতিটি পরিবার থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু মতিন পুরো টাকা দিতে না পারায় সংযোগ পাননি। ২০১৫ সালের ২২ মার্চ সমিতি মতিনের নামে সংযোগ দেয় সফিকুল ইসলাম নামের অন্য এক ব্যক্তির বাড়িতে, সেই বাড়িতে তারা মিটারও বসায়। সফিকুল বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলে সমিতি তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ১৭ মাসের বকেয়া বিল আদায়ের জন্য মামলা করে।এই প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় নির্দোষ আবদুল মতিনকে। পরদিন তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে তাঁকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে কুমিল্লায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয় এবং কুমিল্লা ব্লাস্টের সহায়তায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি জেলখানা থেকে ছাড়া পান। তবে সে জন্য সফিকুলের কাছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমুদয় পাওনা তাঁকে শোধ করতে হয়েছে। সমিতি অবশ্য বৃহস্পতিবার মতিনের বাড়িতে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিয়ে তাদের ‘ভুল সংশোধন’ করেছে। কিন্তু আমরা মনে করি, এটি যথেষ্ট নয়। মতিনের যে হয়রানি ও সম্মানহানি হলো, সে জন্য তাঁকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি করা হলেও গতকাল পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এই কাজকে নিছক ভুল বলে চালালেও সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারি কাজে প্রত্যেক নাগরিকের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এসব জেনেও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কীভাবে মতিনের নামের সংযোগ সফিকুলের বাড়িতে দিল, সেই রহস্য বের করতে হবে।
398,811
অনলাইন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১১ নভেম্বর ২০১৩, ১৫:৪১
১১ নভেম্বর ২০১৩, ১৫:৪১
-1
null
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে ‘হিমু পরিবহন’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/71209
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৬৫তম জন্মদিন ১৩ নভেম্বর। নানা আয়োজনে তাঁর জন্মদিন উদযাপন করতে যাচ্ছে ফেসবুক ভিত্তিক হুমায়ূন ভক্ত তরুণদের দল হিমু পরিবহন।এ উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হিমু পরিবহন।দলটির সদস্য রুহুল আমিন রনি জানিয়েছেন, ‘চলতি বছরের ১৯ জুলাই আমাদের পথচলা শুরু হয়। সেদিন আমাদের ৪০ জনের একটি দল নুহাশ পল্লিতে হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম।’দলের আরেক সদস্য জুবায়ের কবির তুষার বলেন, ‘আমাদের এ পথ চলা থামবে না। এখন থেকে হিমু পরিবহন হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন ছাড়াও হুমায়ূন আহমেদ বিষয়ক নানা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’ হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উদযাপন করতে ১২ নভেম্বর ৫০ জনের একটি দল যাচ্ছে নুহাশ পল্লিতে। দলটির সঙ্গে থাকছেন লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। জন্মদিনকে ঘিরে নানা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে নুহাশ পল্লিতে। ১৩ নভেম্বর প্রথম প্রহরে কেক কেটে শুরু হবে জন্মদিন পালনের আনুষ্ঠানিকতা। ফানুস উড়ানোসহ, হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে রাতভর থাকছে নানা অনুষ্ঠান।একই সময়ে সাতটি বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠান আয়োজন করবে হিমু পরিবহন। এ ছাড়া বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে হিমু পরিবহনের বন্ধুরা জন্মদিন পালনের আয়োজন করেছেন। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, কাতার থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিমু পরিবহনের বন্ধুরা। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা বিবেচনায় নিয়ে ১৩ নভেম্বরের দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি পালন করা হবে ১৫ নভেম্বর শুক্রবার। ওই দিন তিনটি বাসে সারাদেশ থেকে আসা ১২০ জন সদস্য যাবেন লেখকের জন্মস্থান নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠিত স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে কাটাবেন সারাদিন। জন্মদিনে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করবে হিমু পরিবহন।হিমু পরিবহন কিছু দাবির কথাও জানিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয়ভাবে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ও মৃত্যুদিন পালন, হুমায়ূন আহমেদের নামে দেশের জাতীয় কোনো স্থাপনার নামকরণ এবং হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠিত স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠকে সরকারিকরণ।
27,041
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
০৬ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:৪৭
০৬ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:৪৫
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে ঘুরে–ফিরে আসছে বাংলাদেশ
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1015323
ভারতের বিপক্ষে নিজেদের ‘আন্ডারডগ’ই ভাবেন অ্যালিস্টার কুক। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সমতায় রেখে এসে এ ছাড়া অন্য কিছু ভাবার উপায়ও বোধ হয় নেই কুকের। বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতলেও সে টেস্টে জয়টা এসেছে কোনোমতে। বাংলাদেশি স্পিনারদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে বেন স্টোকসের নৈপুণ্যে। ঢাকার দ্বিতীয় টেস্টেও আবার নাস্তানাবুদ। এই টেস্টে ‘স্টোকসের মতো’ কেউ ছিলেন না। তাই হারতেই হয়েছে তাদের।ভারতে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজটা ২-১-এ জিতে নিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। এই ইংল্যান্ড দল অতটা শক্তিশালী নয় ঠিকই, কিন্তু সর্বশেষ ১০ সিরিজের মাত্র একটিতে হারা ইংল্যান্ড এবার ভারতে সব কটি টেস্টে হেরে যেতে পারে, এমন কথাও উঠছে। কারণ আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ ম্যাচের সিরিজে বেশির ভাগ সময় স্পিনের সামনে তাদের কাঁপাকাঁপি। বুধবার শুরু সিরিজটা ভারত বনাম ইংল্যান্ড হলেও ঘুরে–ঘিরে তাই বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আসছে।বাংলাদেশের কন্ডিশনে নিজেদের দুর্বলতা যেভাবে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে, তাতে ভারতের মাটিতে এসে আহামরি কিছু তারা করে ফেলবেন—এমনটি ভাবা বাড়াবাড়ি। বাংলাদেশের স্পিনাররা যেভাবে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিয়েছেন, তাতে ভারতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনেরা ইংল্যান্ড-বধে উৎসাহিত হতেই পারেন। ভারতও স্পিন-বিষ মাখা উইকেট বিছিয়ে রাখছে নিশ্চয়ই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেমনটা করেছিল তারা। বাংলাদেশের তরুণ স্পিনার মেহেদী মিরাজের বিপক্ষেই তো ঘাম ছুটে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের! টেস্টসেরা স্পিনার অশ্বিনের আঙুল তো নিশপিশ করবেই!কুকের সংবাদ সম্মেলনেও উঠল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। কুক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে হারের ধাক্কাটা সামলে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে তাঁর দল। রাজকোটে ৯ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগেই সে ধাক্কা সামলানো যাবে।ভারতের বিপক্ষে সিরিজ বেশ কঠিনই হবে বলে বিশ্বাস কুকের, ‘ভারত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল। র‍্যাঙ্কিংয়ের এক, দুই নম্বর দলগুলোর বিপক্ষে তাদের নিজেদের মাঠে খেলাটা খুব কঠিন। কারণ, নিজেদের মাঠে তারা বেশ স্বাচ্ছন্দ্য। সুতরাং, ভারতের বিপক্ষে খেলাটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ।’বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের দলটিতে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়েই মাঠে নামতে হবে কুকের। এটিও বড় চ্যালেঞ্জ, ‘আমাদের দল নির্বাচন নিয়ে বড় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। (বাংলাদেশে) এমন দুটি ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর কিছু পরিবর্তন তো আপনাকে আনতেই হবে।’তবে কী ভারতে কোনোই আশা নেই ইংল্যান্ডের। কুক মনে করেন, দলের তুলনামূলক অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের যে চ্যালেঞ্জর মুখেই ঠেলে দেওয়া হোক না কেন তাদের ভালো খেলতে হবে। আমরা যেহেতু চ্যালেঞ্জের মুখে আছি, তাই নিজেদের “আন্ডারডগ” ভাবতে আপত্তি নেই।’ সূত্র: পিটিআই।
262,694
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ জুলাই ২০১৪, ০০:১২
২৮ জুলাই ২০১৪, ০০:১৩
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা
0
সোনারগাঁয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/279040
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুর ওপর গতকাল রোববার যাত্রীবাহী একটি বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক প্রবাসীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহম্মেদ জানান, গতকাল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাসটি কুমিল্লা যাওয়ার পথে মেঘনা সেতুর ওপরে ওঠার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রবাসী মহসিন মিয়া (৪০) ও তাঁর ভগ্নিপতি তালেব মিয়া (৫৫) মারা যান। মাইক্রোবাসের চালক আবুল হোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত মহসিন মিয়া কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চেঙ্গাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং তালেব মিয়া একই উপজেলার বড় নয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। চালক আবুল হোসেন ঢাকার দক্ষিণখান থানা এলাকার বাসিন্দা।
81,396
প্রথম আলো ডেস্ক
life-style
জীবনযাপন
১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৪৮
১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫০
আমার ডাক্তার,জীবনধারা
0
জীবাণুনাশক সাবানের উপকারিতা নিয়ে প্রশ্ন
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/102697
সাধারণ সাবানের চেয়ে বিশেষ জীবাণুনাশক বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যুক্ত সাবান বেশি উপকারী—এ ধারণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ। সম্প্রতি একটি বিশেষ সভায় বলা হয়, বিশেষ ধরনের রাসায়নিক বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যুক্ত সাবান কেন অন্যান্য সাধারণ সাবানের চেয়ে ভালো, এটা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে প্রমাণ করে তবে বাজারজাত করতে হবে। এফডিএ বলছে, বর্তমানে বাজারে প্রায় দুই হাজার রকমের জীবাণুনাশক সাবান রয়েছে। এগুলোর আদৌ কোনো উপকারিতা আছে কি না, তা প্রশ্নবিদ্ধ; কেননা এ নিয়ে কোনো বৃহৎ বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই। বরং তরল জীবাণুনাশক সাবানে যে ট্রাইক্লোসান এবং জীবাণুনাশক বার সাবানে যে ট্রাইক্লোকার্বন ব্যবহূত হয়, তা প্রতিদিন ব্যবহার ইস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন ও থাইরয়েড হরমোনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। পশুদের ওপর গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। মেডপেজ
36,897
-1
sports
খেলা
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১২
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১৩
খেলা
0
মিডফিল্ডার
http://www.prothom-alo.com/sports/article/324088
এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে খেলা ৩২ দলের কোচদের মধ্যে ১৮ জনই খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন মিডফিল্ডার।
94,574
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:৫৩
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:৫৩
বাণিজ্য
0
কর মেলায় রেকর্ড রাজস্ব আদায়
http://www.prothom-alo.com/economy/article/639037
সারা দেশে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলা থেকে রেকর্ড পরিমাণ কর আদায় হয়েছে। এবার মেলা থেকে ২ হাজার ৩৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার কর আদায় হয়, যা গত বছরের চেয়ে ৩৬০ কোটি টাকা বেশি। গত বছর মেলা থেকে ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এদিকে গতকাল মেলার শেষ দিনেও ছিল করদাতাদের ব্যাপক ভিড়। তাঁদের মধ্যে উৎসাহও ছিল ব্যাপক। দেশের সবচেয়ে বড় কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। মেলা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় বিকেল পাঁচটার পরও কয়েক শ করদাতা বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মেলার বুথগুলোতে রিটার্ন জমা নিয়েছেন কর কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সারা দিনই মেলায় করদাতাদের বেশ সমাগম ছিল।এবারের মেলায় সর্বমোট ১ লাখ ৬১ হাজার ৬০ জন করদাতা তাঁদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন। গত বছর মেলায় রিটার্ন জমা পড়েছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩০৯টি। এ বছরের মেলায় কর-সংক্রান্ত সেবা নিয়েছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৫ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৫।উল্লেখ্য, ১৬ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাতটি বিভাগীয় শহর সাত দিন, সব জেলায় চার দিন ও ৮৬টি উপজেলায় এক থেকে দুই দিন কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কর মেলায় ইটিআইএন নিবন্ধন, আয়কর বিবরণী জমা, পূরণে সহায়তাসহ সব ধরনের আয়কর সেবা দেওয়া হয়েছে। কর পরিশোধের জন্য ব্যাংকের বুথ ছিল মেলার প্রাঙ্গণে।গতকাল মঙ্গলবার শেষ দিনে ৩৮ হাজার ২০৫ জন করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এতে রাজস্ব পাওয়া গেছে ৩৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। এই এক দিনে মেলায় এসেছেন ১ লাখ ৭ হাজার ১৮৫ জন।উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই মেলা আয়োজন করে আসছে এনবিআর। প্রতিবছরই কর মেলার পরিধি বেড়েছে। এ বছরই প্রথম উপজেলা পর্যায়ে কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এদিকে বিকেলে অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত কর মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান উৎসই নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকর মাধ্যম। যথাযথ আয়কর প্রদানের মাধ্যমে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তথা একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। এ জন্য সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তিকে সঠিকভাবে আয়কর প্রদানের জন্য তিনি আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, সদস্য আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
171,386
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:১৯
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:২১
পঞ্চগড় সদর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,পরিবেশ
0
পঞ্চগড়ে বন বিভাগের দখলে থাকা জমি উদ্ধারের দাবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/44704
বন বিভাগের দখলে থাকা জমি উদ্ধারের দাবিতে গতকাল বুধবার পঞ্চগড় শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হয়েছে। পঞ্চগড় উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।গতকাল দুপুর ১২টার দিকে জেলা মিলনায়তন থেকে মিছিল বের করা হয়। এতে শতাধিক জমির মালিক অংশ নেন। দুপুর সাড়ে ১২টার তাঁরা জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন। এতে তাঁরা ফরেস্ট সেটেলমেন্ট আদালতের রায় বাস্তবায়ন, জমির ভোগদখল নিশ্চিত করা, খাজনা নিয়ে নামজারি করা ও বন বিভাগের নামে রেকর্ড বাতিল করার দাবি করেন। জেলা প্রশাসক মোহামঞ্চদ সালাহউদ্দিন সঞ্চারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, সঞ্চারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।সঞ্চারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৬২ সালে সরকার জেলার সদর, তেঁতুলিয়া, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার পাঁচ হাজার ২০৬ একর জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বন বিভাগকে ১০০ বছরের জন্য দিয়ে দেওয়া বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করে। জমির মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে এই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে বন বিভাগ ও মালিকদের মধ্যে বিরোধ চলছে। সমস্যা সমাধানে জন্য বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালে ফরেস্ট সেটেলমেন্ট আদালত স্থাপন করে। তৎকালীন জেলা প্রশাসককে সেটেলমেন্ট অফিসার হিসেবে ক্ষমতা দেওয়া হয়। ২০০০ সালে শুনানি শেষে ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার তাঁর রায়ে বলেন, জমিগুলো মালিকদের ফেরত দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু মন্ত্রণালয় ১২ বছরেও রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি।দিনাজপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আলী কবীর জানান, গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকার ১৯৬২ সালে এসব জমি বন বিভাগকে দেয়। তবে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। সেটেলমেন্ট আদালত ২০০০ সালে একতরফা রায় দিয়েছেন। এখন নতুন করে ফরেস্ট সেটেলমেন্ট আদালত হয়েছে। জমির মালিকেরা এখানে আবেদন করতে পারেন।
14,466
-1
economy
অর্থনীতি
১৫ জুলাই ২০১৭, ০০:০২
১৫ জুলাই ২০১৭, ০২:০৫
প্রতিষ্ঠানের খবর
0
অটোপ্লেক্সের নিজস্ব কমপ্লেক্স উদ্বোধন
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1252391
রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ির কাছে ৭ জুলাই অটোপ্লেক্স লিমিটেডের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন করেন সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান সুব্রত দাস এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মনজুর আহমেদ। কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক এবং স্বয়ংক্রিয় মেশিনে গাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা। আরও রয়েছে একটি ইতালিয়ান ও মেডিটারেনিয়ান ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট এবং মার্কিন ব্র্যান্ড বিটল বোল্টের মোটরসাইকেল এবং স্কুটারের শোরুম। বিজ্ঞপ্তি
326,511
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ আগস্ট ২০১৪, ০০:২২
১০ আগস্ট ২০১৪, ০০:২৩
আমার চট্টগ্রাম
0
হরেক রকম প্রযুক্তি পণ্য
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/286831
উন্নতমানের ত্রিমাত্রিক ও ভিডিও প্রযুক্তি এবং পরবর্তী প্রজন্মের (নেকসট জেনারেশন) গেমিং পুরোপুরিভাবে উপভোগের জন্য গ্রাফিকস কার্ডের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। প্রযুক্তি বাজারের ক্রমবর্ধমান গ্রাফিক্স কার্ডের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রযুক্তিপণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ভিলেজ ২০১২ সাল থেকে জোট্যাক ব্র্যান্ডের গ্রাফিক্স কার্ড বাজারজাত করছে। জোট্যাকের কার্ডগুলোতে বিশ্বের ১ নম্বর গ্রাফিকস চিপসেট ব্র্যান্ড এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট ব্যবহার করা হয়।এসব কার্ডের মূল্য দুই হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। টোনার: প্রযুক্তি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ‘লংহর্ন’ ব্র্যান্ডের টোনার কার্ট্রিজ। এই ব্র্যান্ডের টোনার অরিজিনাল টোনারের মতোই মানসম্মত। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিনের ক্রমবর্ধমান প্রিন্টিং প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় সম্প্রতি ‘লংহর্ন’ টোনারের পেজ প্রিন্টিং ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। টোনারটি বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি প্রিন্ট করতে সক্ষম। বাজারে এইচপি, ডেল, ক্যানন, ব্রাদার ও স্যামসাং প্রিন্টারের বিভিন্ন মডেলের জন্য ‘লংহর্ন’ টোনার পাওয়া যাচ্ছে। মূল্য এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।ডিভিডি রাইটার: বাজারে বিশ্বের প্রথম সারির ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ ব্র্যান্ড এইচপির ডিভিডি রাইটার রয়েছে। ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল দুটি মডেলই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এই রাইটারগুলো ২৪এক্স গতিতে ডিভিডি রাইট করতে পারে।ভিশন ও মিশন ব্র্যান্ড: দেশের প্রযুক্তি বাজারে ‘ভিশন’ একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড। এই ব্রান্ডের পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে কিবোর্ড, মাউস, নোটবুক কুলার, ক্যাসিং ও পাওয়ার-সাপ্লাই ইউনিট। জানা গেছে, শিগগিরই এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন আকারের মনিটর।নিজস্ব প্রতিবেদক
83,975
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১০ জুলাই ২০১৫, ১৫:৩৬
১০ জুলাই ২০১৫, ১৫:৩৯
মোবাইল ফোন
null
বাজারের সবচেয়ে কম দামের থ্রিজি ফোন
http://www.prothom-alo.com/technology/article/574585
সিম্ফনি আর গ্রামীণফোন মিলে দেশের বাজারে আনল ই১০ নামের একটি স্মার্টফোন। সিম্ফনির দাবি, বাজারের সবচেয়ে কম দামের স্মার্টফোন এটি। সিম্ফনি এবং গ্রামীণফোন চ্যানেলে এই ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে দুই হাজার ৯৯০ টাকায়।ব্যবহারকারীদেরই সহজেই থ্রিজি অভিজ্ঞতা দিতে স্মার্টফোনটির সঙ্গে এর দামের সমমূল্যের অফার দিচ্ছে গ্রামীণফোন। জিপি প্রি-পেইড গ্রাহকেরা ‘সিম্ফনি ই ১০’ হ্যান্ডসেটটির সঙ্গে ২ জিবি ডেটা প্যাক পাবেন। এ ছাড়াও ১৫০ টাকার অন-নেট ভয়েস কল কিনতে পারবেন ৫০ টাকায় এবং প্রতিবার এক জিবি ফ্রি ইন্টারনেট পাবেন।সিম্ফনির জ্যেষ্ঠ পরিচালক রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘সাশ্রয়ী মূল্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই হ্যান্ডসেট বাজারে এনে আমরা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করে আসছি। গ্রামীণফোনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে হ্যান্ডসেট এবং থ্রিজি অফার ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করবে।’গ্রামীণফোনের হেড অব প্রোডাক্ট হাসিবুল হক বলেন, ‘সর্বস্তরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সাশ্রয়ী দামে উন্নত মানের স্মার্টফোন দেওয়ার চেষ্টা করছে গ্রামীণফোন।’‘সিম্ফনি ই ১০’ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৩.৫ ইঞ্চি এইচভিজিএ ডিসপ্লে, এক গিগাহার্টজ সিঙ্গেল কোর প্রসেসর, পেছনে এলইডি ফ্ল্যাশ সহ ১.৩ মেগাপিক্সেল ও সামনে ভিজিএ ক্যামেরা। অ্যান্ড্রয়েড কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোনটিতে মাইক্রো-ইউএসবি, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, জিপিএরএস/এজ, থ্রিজি চালানো যায়।
151,637
মোহাম্মদ বদরুজ্জামান
life-style
জীবনযাপন
২১ অক্টোবর ২০১৪, ০০:৫৬
২১ অক্টোবর ২০১৪, ০১:২১
নকশা,বেড়ানো
0
ফুরামন চূড়ার হাতছানি
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/349222
আকাশে মেঘ ছিল, বৃষ্টি ছিল না। ভাপসা গরম ছিল, বাতাস ছিল না। এমনি এক আবহাওয়ার মাঝে আমাদের ফুরামন অভিযান শুরু হলো সাপছড়ি থেকে। রাঙামাটি শহরের বনরূপা বাজার থেকে বেরোতেই বেলা গেল ঢলে। এখানকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়চূড়ায় ওঠার এ অভিযাত্রায় আমার সঙ্গী ইশান দেওয়ান। তবলছড়ির চাকমা এ ছেলের সঙ্গে ফুরামনে ওঠার দারুণ এক অনুপ্রেরণা পেলাম। সাপছড়ি থেকে ঘণ্টা দেড়েক হাঁটার পর ফুরামন পাহাড়ের মূল অংশে উঠে পড়লাম আমরা। ক্রমে যতই ওপরে উঠতে থাকলাম, কাপ্তাই লেক, রাঙামাটি শহর আর চারদিকের নির্জন পাহাড়ি এলাকা দুচোখের সামনে উদ্ভাসিত হতে লাগল অপরূপ শোভা নিয়ে। এ বছরের শুরুর দিকে একবার ফুরামন চূড়ায় উঠেছিলাম। তবে সময়টা শীতকাল থাকায় মনটা ভরাতে পারেনি ফুরামন। বর্ষাকালে এই পাহাড় চূড়ায় উঠে চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার নাকি মজাই আলাদা! দূরের কাপ্তাই লেক পাহাড়ের মাঝে নীলাভ জলরাশি নিয়ে নীরবে গিয়ে যায় সম্প্রীতির গান। রাঙামাটি শহরটিও যেন লেকের মাঝে ছড়ায় সৌন্দর্যের মুক্তা। আর দূরের পাহাড়ের ভাঁজগুলো টেনে ধরে দুচোখের চাহনি। বছর পাঁচেক আগের ঘটনা। প্রথমবারের মতো সেবার যাই লেক-পাহাড়ের শহর রাঙামাটি। শুভলং থেকে ফেরার পথে কাপ্তাইলেকে এসে আমার দু’চোখ আটকে যায় ফুরামনের চূড়ায়। কী জাদুকরি দহরম-মহরম মেঘের সঙ্গে তার! মেঘের দল অনুপম মায়ায় আলতো করে আদর করে যায় ফুরামনের চূড়া। দেখে বিস্ময়ের শেষ ছিল না আমার! তখন অবশ্য ফুরামনের সঙ্গে পরিচয় হয়নি আমার। নামও জানতাম না তার।বছর খানেক আগে ফটোসাংবাদিক ছন্দসেন চাকমার কাছে এ পাহাড়ের খোঁজ পাই। তারপর এক শীতের রাতে বেরিয়ে পড়ি রাঙামাটির উদ্দেশে। মানিকছড়ি থেকে জগদীশ চাকমা ও হৃত্বিক কালাই আমার সঙ্গে যোগ দেন। সেবারের যাত্রা ছিল সাপছড়ি থেকে পায়ে হাঁটার ট্রেইল ধরে। ফুরামনে ওঠার কয়েকটা পথ আছে। এবার ট্রেকিংয়ের সময়টা বর্ষাকাল থাকায় গাড়ি ওঠার পথটাকেই বেছে নিতে হলো। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, যাঁরা ট্রেকিংয়ের জন্য শুধু বান্দরবানকে আদর্শ জায়গা বিবেচনা করেন, তাঁদের ফুরামন দেবে নতুন বৈচিত্র্যের স্বাদ।বর্ষাকালে পাহাড়ের গাছপালা আর জঙ্গলগুলো সজীব-সতেজ। রাস্তার পাশের সেগুনগাছের বড় বড় পাতা বাতাসের সঙ্গে দোল খেয়ে দারুণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শীতকালে আবার এসব সেগুনগাছ পাতাবিহীন ন্যাড়া কঙ্কালের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। শুধু সেগুনগাছ কেন, পাহাড়গুলোই তো হয়ে পড়ে মলিন-বিবর্ণ। বিকেল বেলায় সাঁঝের ঝিঁঝি পোকার মতো নানা কীটপতঙ্গের গান শোনা যায়। এ যেন অন্য এক দুনিয়া।ফুরামনের একেবারে চূড়ায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ধ্যানঘর। এ পাহাড়েই অবস্থিত আন্তর্জাতিক বনবিহার ভাবনাকেন্দ্র। বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর কাছে সাপছড়িতে অবস্থিত বিশাল আকারের এ পাহাড়ের গুরুত্ব অনেক। পর্যটকেরা আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে, চূড়ার ওপর থেকে কাপ্তাই লেকের নৈসর্গিক রূপে হাবুডুবু খেতে। চাকমা ভাষায় ফুরামন শব্দের অর্থ শেষ পাহাড়। অর্থাৎ সবচেয়ে উঁচু চূড়া। রাঙামাটি সদর উপজেলার এটিই সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। অবশ্য এর উচ্চতা নিয়ে আছে দ্বিমত। কেউ বলেন, ফুরামনের উচ্চতা এক হাজার ৮০০ ফুটের বেশি হবে না। তবে দুই হাজার ফুট উচ্চতা টিংকু ট্রাভেলারের জিপিএসে ধরা পড়ে। গাড়ি ওঠার রাস্তার শেষ প্রান্তে পেয়ে গেলাম কিয়োং অর্থাৎ বনবিহার। সেখানে আছে একটা প্রার্থনাঘর। কঠিন চীবরদানের সময় এই জায়গাটা বেশ জমে ওঠে। এখানে আছে পাঁচ থেকে ছয়টি ধ্যানঘর। যেগুলোর কোনোটি পাহাড়ের পাদদেশে, কোনোটি আবার পাহাড়ের মাথায়। কিয়োং ছেড়ে আরও কিছুটা নিচে নামলে পাওয়া যায় রন্ধনশালা।কিয়োং চূড়ায় ওঠার বাকি পথের পুরোটাই সিঁড়ি। মিনিট বিশেক লাগে এ সিঁড়িপথে। গাইড ইশান দেওয়ান সিঁড়ি গুনে ৩৮২টি সিঁড়ি থাকার কথা জানালেন। ফুরামনের চূড়ার পরিসর খুব বেশি না। এখান থেকে পুরো দুনিয়াটাই যেন চোখের সামনে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। ভাসমান মেঘের সঙ্গে পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা দেখার যেন এটাই উত্তম জায়গা। কাপ্তাই লেক আর আট-দশ কিলোমিটার দূরের রাঙামাটি শহরটিকে বেশ কাছেই বলে মনে হয় এই চূড়া থেকে। বরকল, নানিয়ারচর, জুরাইছড়ি আর কাপ্তাই উপজেলার পাহাড়ের ভাঁজগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে নান্দনিক রূপ নিয়ে। এমনকি বহু দূরের কর্ণফুলী নদীও এখান থেকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। রাঙামাটি শহর ও কাপ্তাইলেকের অবস্থান ফুরামনের পূর্ব দিকে। তাই এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে দুপুরের পর ট্রেকিং করা ভালো। আর খুব সকালে পৌঁছতে পারলে মেঘ-পাহাড়ের অনুপম সম্পর্ক উপভোগ করা যায় অনায়াসে। সূর্যের তেজ কমে এল ক্রমেই। আর আমাদের ফেরার তাড়নাও বাড়ল সেই সঙ্গে। ফেরার পথেই নেমে এল গৌধূলির আলো, তারপর অন্ধকার। কীটপতঙ্গের গুঞ্জন সন্ধ্যার নীরবতা ভেঙে দিয়ে পাহাড়ি পথে আমাদের চলার গতিতে এনে দিল বেগ। যেভাবে যাবেনঢাকার কলাবাগান, কমলাপুর ও ফকিরাপুল থেকে এস আলম, হানিফ, শ্যামলী, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ডলফিনসহ বেশ কিছু পরিবহনে রাঙামাটি যাওয়া যায়। ফুরামনে যেতে হলে মানিকছড়িতে নামা ভালো। শহরে নামলে পুনরায় মানিকছড়ি আসতে হবে অটোরিকশায়। ট্রেকিং করতে চাইলে সঙ্গে একজন গাইড নিয়ে সদলবলে বেরিয়ে পড়ুন। আর গাড়িতে যেতে চাইলে রিজার্ভ করুন। চাঁদের গাড়ি বা জিপ কেবল মানিকছড়িতেই পাওয়া যায়। ভাড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
102,490
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
economy
অর্থনীতি
১৯ জুন ২০১৯, ১৬:০৬
২৬ জুন ২০১৯, ১৩:৩৬
বাজেট,আমদানি রপ্তানি
0
যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি বিটিএমএর
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1600003
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বস্ত্রকলের যন্ত্রপাতি, কিছু কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর কর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ।বাজেট–পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এই দাবি করেন। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল আজ বুধবার আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাবেক সহসভাপতি হোসেন মেহমুদ।বিটিএমএর সভাপতি বলেন, ‘বস্ত্রকলের যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। আমরা মনে করি, এটি একধরনের প্রণোদনা। সরকার শিল্প খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে চাইছে। কিন্তু বস্ত্রকল যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর অগ্রিম কর ৫ শতাংশ আরোপ করাকে আমরা মনে করি বিনিয়োগকে ব্যয়বহুল ও অলাভজনক করবে। ফলে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত হবে। এককথায় বিষয়টি খাজনার চেয়ে বাজনা বেশির মতো।’ প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য উৎপাদিত সুতার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এটি প্রত্যাহার করে প্রতি কেজি সুতার ওপর ৪ টাকা ভ্যাট আরোপের দাবি করেছেন বিটিএমএ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা প্রতি কেজি সুতায় তিন টাকা ভ্যাট দিই। ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলে গড়ে প্রতি কেজি সুতার দাম ১৫ থেকে ১৬ টাকা বৃদ্ধি পাবে। ৮০ কাউন্টের সুতায় সর্বোচ্চ বাড়বে সাড়ে ২৩ টাকা। সেটি হলে দেশের প্রান্তিক তাঁতিরা ক্ষতির মুখে পড়বে। এমনকি সুতার বাজার বিদেশিদের দখলে চলে যেতে পারে।’এ ছাড়া বস্ত্র রপ্তানিতে উৎসে কর বর্তমানের মতো দশমিক ২৫ শতাংশ অব্যাহত রাখা এবং রপ্তানিতে ৩ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি করেছে বিটিএমএ।
406,601
সংক্ষেপ
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৭
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৮
মহানগর
0
ট্রেনে কাটা পড়া রোধে...
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1006323
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুরোধে মাসব্যাপী গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে এ কার্যক্রম চালু হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, সচেতনতা সৃষ্টির জন্য চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার উদ্যোগে থানা থেকে মিরসরাইয়ের চিনকী আস্তানা পর্যন্ত মাসব্যাপী মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ শুরু হয়েছে। রেললাইনে গরু চরানো কিংবা বাচ্চাদের খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা, রেলগেট বন্ধ থাকা অবস্থায় রেললাইন অতিক্রম না করা, চলন্ত ট্রেনে মুঠোফোনে সেলফি না তোলা, রেললাইনের ধারে দোকান না বসানো ইত্যাদি বিষয়ে কর্মকর্তারা জনসাধারণকে সতর্ক করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ, স্টেশন মাস্টার মাহবুব আলম ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
258,788
-1
economy
অর্থনীতি
০২ মার্চ ২০১৭, ০২:১০
০২ মার্চ ২০১৭, ০২:১৭
বাণিজ্য
0
বিকেএমইএর সঙ্গে আইএলওর বৈঠক
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1094881
পোশাক কারখানায় সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) একটি প্রতিনিধিদল। ঢাকার বিকেএমইএ কার্যালয়ে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি এ এইচ আসলাম সানি। আইএলওর প্রতিনিধিদলে ছিলেন এমপ্লয়ার্স অ্যাকটিভিটিস বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ রাভি পেরিস। তিনি বলেন, কারখানায় সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া, জীবনমানের উন্নয়নে শিল্প-উদ্যোক্তা বা মালিকদের বিশেষ নজর দিতে হবে। আইএলওর প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ডস বিভাগের বিশেষজ্ঞ মিরান্ডা ফ্যাজারমেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার তোমো পুতেনিন। বিজ্ঞপ্তি
298,637
এস এম হানিফ, চকরিয়া
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ নভেম্বর ২০১৫, ০১:০৭
২৬ নভেম্বর ২০১৫, ০১:০৯
আমার চট্টগ্রাম
0
মানুষ উঠলে দোলে সাঁকো
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/694489
নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। মানুষ উঠলে দুলতে থাকে—এ বুঝি পা পিছলে পড়ল। প্রায় সময় ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের কদ্দাছড়া সাঁকোটি এভাবে ঝুঁকি নিয়ে পারপার হয় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীসহ ১০ গ্রামের মানুষ।সরেজমিনে দেখা যায়, কদ্দাছড়ার ওপর নির্মিত সাঁকোর উত্তর পড়ে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন ও দক্ষিণে সাহারবিল ইউনিয়ন। দুই ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকোটি। কাঁধে সবজির ঝুড়ি নিয়ে কৃষক কিংবা বইভর্তি ব্যাগ নিয়ে শিক্ষার্থীরা পার হচ্ছে সেতু।সেখানে কথা হয় আর কে নুরুল আমিন চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন আকতারের সঙ্গে। সে বলে, ‘সাঁকোতে উঠলে ভয় লাগে। কখন যে পড়ে যাই। বর্ষার সময় তো সাঁকোই থাকে না। বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়।’স্থানীয় লোকজন জানান, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের পাশেই কদ্দাছড়া সাঁকোর ওপারে আর কে নুরুল আমিন চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়, কোরালখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অবস্থান। পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের কদ্দাছড়া, সিকদারপাড়া, ছালেহ নগর, মোবিনপাড়া, মাইজপাড়া, চরপাড়া, দিয়ারপাড়া, ঈদমনি, আনিসপাড়া ও জুলারপাড়া গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এ ছাড়া এসব গ্রামের মানুষ চকরিয়া পৌর শহরে ও মহেশখালী যাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ মাধ্যম হিসেবে এই সাঁকো ব্যবহার করে।কৃষক জামাল হোসেন ও শাহাবউদ্দিন বলেন, সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামের মানুষ চাষাবাদের ক্ষেত্রে সাঁকোটি ব্যবহার করে। কোরালখালী গ্রামের মানুষের চাষাবাদের বেশির ভাগ জমি পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে। তারা শীত মৌসুমে সবজি ও বোরো-আমন মৌসুমে ধানের চাষ করে। উৎপাদিত ফসল বাজারে সরবরাহ করতে তাদের এই সাঁকো ব্যবহার করতে হয়।আর কে নুরুল আমিন চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে অন্তত ৪৫ জন শিক্ষার্থী সাঁকোটি পার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা সাঁকো থেকে নিচে পড়ে গিয়ে বই-খাতা ভিজিয়ে ফেলে। বর্ষার সময় ভয়ে বিদ্যালয়ে আসতেই চায় না শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল বলেন, সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ। সাঁকোর কারণে অন্তত ২০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ। পাকা সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, জুন মাসে সাঁকোটি ভেঙে গিয়েছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে সাঁকোটি বাঁশ দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয়। তিনি আরও জানান, সাঁকোর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট। এ জন্য স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাকা সেতু নির্মাণ করতে হবে।স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিন উল্লাহ বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের পক্ষ থেকে আমার কাছে লিখিত কোনো আবেদন আসেনি। লিখিত আবেদন পেলে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠাব।’
178,038
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
২২ এপ্রিল ২০১৭, ০১:৩৫
২২ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:৪৬
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
বেশি মিষ্টি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1153451
ক্রিকেট দলের বড় সাফল্যে মিষ্টি বিতরণ বিসিবির একটা রীতি। সংবাদমাধ্যমসহ ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে মিষ্টি পাঠানো হয় সুদৃশ্য প্যাকেটে। আনন্দ ভাগাভাগি হয় মিষ্টিমুখে। গত মাসে শ্রীলঙ্কায় শততম টেস্ট জয়ের পরও ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিসিবির লোগো লাগানো নকশাদার প্যাকেটে সবখানে পৌঁছে যায় টেস্ট জয়ের মিষ্টি। তবে এবারের মিষ্টিটা বোধ হয় একটু বেশিই ব্যয়বহুল হয়ে গেল। সব মিলিয়ে এই মিষ্টির দাম কত পড়েছে জানেন? ১২ লাখ ১৮ হাজার টাকা! মিষ্টির পেছনে ব্যয় হওয়া এই অর্থ আজ বোর্ড সভায় অনুমোদন হওয়ার কথা। শততম টেস্ট জয়ের মিষ্টি বলে কথা!
312,937
সুনামগঞ্জ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১০:০২
০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১০:০৭
সুনামগঞ্জ,অপরাধ
0
ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1133981
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণ এবং এই ঘটনা মুঠোফোনের ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুরজাদ মিয়া (৩৫)। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ বিকেলে জগন্নাথপুর পৌর শহরে এক নারীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন সুরজাদ মিয়াসহ দুজন। এ সময় তাঁরা ধর্ষণের দৃশ্য মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন। পরে সেটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় গত সোমবার বিকেলে ওই নারী জগন্নাথপুর থানায় সুরজাদ মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ সুরজাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির মিয়া বলেন, সুরজাদ মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
309,419
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ অক্টোবর ২০১৬, ০৮:৪২
১৯ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৩২
নারায়ণগঞ্জ,অপরাধ,ঢাকা বিভাগ
0
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1003137
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলার রসুলপুরে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শেখ স্বাধীন মনির ওরফে মনির হোসেন (৩৫)। তিনি রসুলপুর এলাকার মুসলিশ শেখের ছেলে।মনির ফতুল্লা থানা আওয়ামী জনতা লীগের সভাপতি ছিলেন বলে তাঁর স্বজনদের ভাষ্য।এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে মনির, তাঁর স্ত্রী পারভীন ও স্ত্রীর বড় বোন রেখা এক আত্মীয় বাড়ি থেকে রসুলপুর এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে দুর্বৃত্তরা মনিরকে ছুরিকাঘাত করে। তাঁকে বাঁচাতে তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোন এগিয়ে আসেন। ছুরিকাঘাতে তাঁরাও আহত হন। আশপাশের লোকজন তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনির মারা যান।এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ডিশ লাইনের দখল নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন বলেন, মনিরের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।
257,206
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৫৩
২২ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৫৪
সিরাজগঞ্জ,বিশাল বাংলা,রাজশাহী বিভাগ
0
বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/508954
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় স্কুলছাত্র সাকিবকে অপহরণ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং এই ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার সাকিবের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর এলাকায় এসব কর্মসূচি পালন করে।সাকিব মোহনপুর কে এম ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণিতে পড়ত। ১৫ এপ্রিল সাকিবকে অপহরণ করে একদল দুর্বৃত্ত। তার লাশ গত শুক্রবার গাজীপুর জেলার সাফারি পার্ক থেকে উদ্ধার করা হয়।গতকাল বেলা ১১টায় মোহনপুর বিদ্যালয় চত্বরে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান, কমিটির সদস্য শাহাদত হোসেন, জমসের আলী, সাকিবের বাবা গোলাম মোস্তফা, সহকারী শিক্ষক আবদুল আলীম, আবদুল হালিম প্রমুখ। পরে মিছিল শেষে তাঁরা মোহনপুর-তালগাছী সড়কে মানববন্ধন করেন।সমাবেশে সাকিবের বাবা বলেন, ‘সাকিব আমাদের একমাত্র ছেলে। টাকার লোভে অপহরণকারীরা সাকিবকে হত্যা করে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে সবার ফাঁসি চাই।’পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাকিবকে ১৫ এপ্রিল তার বন্ধু রবিনের সহায়তায় অপহরণ করা হয়। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারটির কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। পুলিশ এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল রবিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী গাজীপুর থেকে ইমরান ও আরমান নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়।
133,306
-1
entertainment
বিনোদন
০৫ অক্টোবর ২০১৫, ০০:০২
০৫ অক্টোবর ২০১৫, ০০:০২
বিনোদন
0
ঘুরে আসুন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/646287
 চাই বন্ধুজীবনহাসান মাহমুদের গান-কবিতার যুগলবন্দীসময়: সন্ধ্যা ছয়টাস্থান: সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। গডস অ্যান্ড বিস্টসরনি আহমেদের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীচলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্তসময়: দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টাস্থান: বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জ, ৬০ গুলশান অ্যাভিনিউ, গুলশান–১, ঢাকা। টু দ্য রুট অব আর্টদলীয় চিত্রকর্ম প্রদর্শনীচলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্তসময়: সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টাস্থান: লা গ্যালারি, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, ২৬ মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা।
173,783
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ এপ্রিল ২০১৬, ০২:০২
০২ এপ্রিল ২০১৬, ০২:০২
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ
0
অস্ত্রসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/817243
শেরেবাংলা নগরের সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামনে থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব। এ সময় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। র্যা ব থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যা ব-২-এর গোয়েন্দা দল আনুমানিক বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরে উত্তর পাশে আগারগাঁও নিউ কলোনি কবরস্থানের ফটকের সামনে সন্দেহজনকভাবে মাসুদ রানা নামের এক যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখে। এরপর তাঁর দেহ তল্লাশি করে অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে মাসুদ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
216,334
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ এপ্রিল ২০১৫, ০১:০৪
০৫ এপ্রিল ২০১৫, ০১:০৫
আমার চট্টগ্রাম
0
ফটিকছড়িতে স্বেচ্ছায় রক্তদান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/494776
ফটিকছড়ির শিশু–কিশোরদের সংগঠন আজকের প্রজন্ম ও ভুজপুর ক্লাবের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি গত ২৬ মার্চ স্থানীয় রাবার ডেম এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখা এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, প্রধান বক্তা ছিলেন মো. হেলাল নুরী।বোরহান আহমেদের সভাপতিত্বে ও মুরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এস এম সাহাব উদ্দিন, সেলিম জাহাঙ্গীর, নাজমুল হাসান, রুবেল বিশ্বাস, তাইজুল ইসলাম, আরশাদুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে প্রথম রক্ত দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আজকের প্রজন্মের আজীবন সদস্য রণজিৎ বড়ুয়া। এতে ২০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
128,896
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ মে ২০১৫, ০০:৫৭
০৩ মে ২০১৫, ০০:৫৮
আমার চট্টগ্রাম
0
টেকনাফ–কক্সবাজার সড়কের দায়সারা সংস্কার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/517819
দায়সারাভাবে চলছে ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের’ সংস্কারকাজ। মহাসড়কের ওপর বিটুমিন ঢেলে কাজ সম্পন্ন দেখানো হচ্ছে। গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের রঙিখালী অংশে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন শ্রমিক বালতিতে করে সড়কের ওপর বিটুমিনের প্রলেপ লাগাচ্ছেন। এতে সড়কটি নতুন মনে হলেও মুহূর্তে যানবাহনের চাকায় লেগে তা উঠে যাচ্ছে। সংস্কারকাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সওজের কর্মসহকারী মো. মোস্তাক আহমদ জানান, ঠিকাদারের নির্দেশে শ্রমিকেরা সড়কের ওপর বিটুমিন দিচ্ছেন। এতে তাঁর করার কিছু নেই।সওজ কার্যালয় সূত্র জানায়, টেকনাফ জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়া উপজেলার থাইংখালী পর্যন্ত প্রায় ৪৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২০১৩ সালে সড়ক বিভাগ প্রায় ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। একই বছরের ১৬ মে ঢাকার প্রজেক্ট বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এক বছরের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের ১৬ মে কার্যাদেশের সময়সীমা শেষ হলেও ওই প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার কাজ শেষ করেছে। ইতিমধ্যে সংস্কার করা সড়কের ওপর কয়েক শ গর্ত ও খানাখন্দে ভরে গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে ঠিকাদার দায়সারাভাবে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। সংস্কারকাজে দুর্নীতি প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রজেক্ট বিল্ডার্সের প্রকল্প সুপারভাইজার মো. ফরিদ জানান, টানা তিন মাসের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ঠিকমতো সড়কের সংস্কার চালানো যায়নি। ফলে কাজে একটু এদিক–ওদিক হচ্ছে। অনিয়ম প্রসঙ্গে সওজের উখিয়া উপসহকারী প্রকৌশলী পলাশ চাকমাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
136,063
বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ মে ২০১৪, ২১:০২
০১ মে ২০১৪, ২১:৫৯
-1
null
বাংলাদেশকে ব্রিটেনের অভিনন্দন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/206368
সংঘাতকালে যৌন সহিংসতা অবসানের অঙ্গীকার ঘোষণায় সমর্থনের জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই কারণে তিনি পাকিস্তান ও নাইজেরিয়াকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন।মি. হেগ আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানান, এ সপ্তাহে এই তিনটি দেশের সমর্থনের ফলে এ ঘোষণার প্রতি সমর্থনকারী দেশের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৮-এ, যা জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি।যুক্তরাজ্যের যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক ঘোষণা প্রণীত হয়। এই ঘোষণার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে যৌন সহিংসতার জন্য দায়ী অপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন করা।যেসব দেশ এই ঘোষণা অনুসমর্থন করেছে, সেসব দেশকে আগামী ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডনে অনুষ্ঠেয় ‘সংঘাতকালে যৌন সহিংসতার অবসান বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে’ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হবে।বিবৃতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া এই তিনটি দেশ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের বৃহত্ অংশগ্রহণকারী এবং তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা এবং বিশেষজ্ঞ জ্ঞান রয়েছে।ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতার স্থায়ীভাবে অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে বৈশ্বিক উদ্যোগ ধীরে ধীরে গতিশীল হচ্ছে, উল্লেখ করে মি. হেগ বলেন,  ‘আমাদের জীবদ্দশায় এসব অপরাধ লাখ লাখ নারী, পুরুষ ও শিশুর জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ধর্ষণকে যুদ্ধের একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর ঘটানোর একটি সুযোগ এখন আমাদের সামনে উপস্থিত।’
69,872
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জুলাই ২০১৭, ১০:০০
১৮ জুলাই ২০১৭, ১১:০০
অপরাধ
null
ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় মামলা হচ্ছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1256426
দোতলা বাস নিয়ে উল্টো পথে যেতে না দেওয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুলিশের এক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া নয়টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক, দক্ষিণ) একজন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনায় খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা নিয়ম ভঙ্গকারী ও হামলাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ বিষয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।গতকাল সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হন সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। শাহবাগের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি দোতলা বাস বাংলামোটরে সিগন্যালে এসে থামে। এ সময় কয়েকজন ছাত্র বাস থেকে নেমে কারওয়ান বাজারের (সোনারগাঁও ক্রসিং) দিক থেকে শাহবাগগামী গাড়িগুলোকে আটকে দোতলা বাস দুটিকে উল্টো পথে নেওয়ার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট এসে বাধা দেন। সার্জেন্টের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। সার্জেন্ট ছাত্রদের চলতি ট্রাফিক আটকাতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে বাস থেকে আরও কয়েকজন ছাত্র নেমে সার্জেন্টের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী হামলাকারীদের নিরস্ত করারও চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের থামানো যাচ্ছিল না। ঘটনাস্থলে থাকা আরেক সার্জেন্ট দৌড়ে গিয়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ শুরু করলে ছাত্ররা বাসে ফিরে যান। তখন বাস দুটি সোজা পথেই কারওয়ান বাজারের দিকে রওনা হয়।আরও পড়ুন:উল্টো পথে বাস চলতে বাধা, সার্জেন্টকে মারধর
327,024
মোশতাক আহমেদ ও খলিল রহমান, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জুলাই ২০১৬, ০২:০৯
২৬ জুলাই ২০১৬, ০২:১০
সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ
0
রোগী আছে, সেবা নেই
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/925849
রোগী আছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নেই। অপারেশন থিয়েটার (ওটি) আছে, অবেদনবিদ ও শল্যচিকিৎসক নেই। অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক নেই।চিকিৎসাসেবায় এই নেই আর নেই সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়। প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার জনসংখ্যার এই হাওর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এলেও চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা পায় না।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবেই মূলত রোগীরা চিকিৎসাসেবা পায় না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ (টিএইচও) চিকিৎসকের নয়টি পদের পাঁচটিই শূন্য। এর মধ্যে জুনিয়র পরামর্শক (সার্জারি), জুনিয়র পরামর্শক (অবেদন), জুনিয়র পরামর্শক (গাইনি) ও জুনিয়র পরামর্শক (মেডিসিন) পদে কেউ নেই। ফলে এখানে কোনো অস্ত্রোপচার ও গাইনি সেবা দেওয়া যায় না। ৩১ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের ১০টি পদের মধ্যে কাগজপত্রে তিনজনকে দেখানো হলেও বাস্তবে আছেন দুজন। কারণ, একজন প্রেষণে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আছেন। ওয়ার্ড বয়ের তিনটি পদের মধ্যে আছেন দুজন। স্টোরকিপার, পরিসংখ্যানবিদ, ক্যাশিয়ার, একটি এমএলএসএস ও আয়ার দুটি পদও শূন্য। নিরাপত্তা প্রহরী দুজন থাকার কথা থাকলেও আছেন একজন।১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান ভবনটি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এরপর কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে নানা সমস্যার মধ্যে স্যানিটেশন ব্যবস্থা বেশি খারাপ বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।সুনামগঞ্জের স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, হুবহু এমন না হলেও তাহিরপুর, শাল্লাসহ এই জেলার উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা কম-বেশি একই রকম। রোগীর সামান্য জটিলতা দেখা দিলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও সুবিধার অভাবে সুনামগঞ্জ ও সিলেট শহরে রেফার করা হয়।ওটি তালাবদ্ধ: গত রোববার সরেজমিনে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দোতলায় থাকা অপারেশন থিয়েটারটি (ওটি) তালাবদ্ধ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মী বললেন, অবেদনবিদ ও শল্যচিকিৎসক না থাকায় ওটি রোগীদের কাজে আসছে না। উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের এক বাসিন্দা বললেন, সবচেয়ে সমস্যা হয় ডেলিভারি ও সিজারিয়ান অপারেশনের ক্ষেত্রে। কোনো নারীর প্রসব বেদনা উঠলে ১৮ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ শহরে দৌড়াতে হয়। এতে কখনো কখনো ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাঁর ভাইয়ের স্ত্রীকে সুনামগঞ্জ শহরে নেওয়ার পথে সন্তান প্রসব হয়েছিল।উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদও বললেন, ওটিতে কার্যত এখন অস্ত্রোপচার হয় না। অন্য কাজে ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৫ জন রোগী ভর্তি থাকে। জরুরি সেবা নেয় আরও অনেক বেশি। কিন্তু সমস্যা একটু গুরুতর হলেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ (রেফার্ড) দেওয়া হয়।রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো চিকিৎসক ও নার্সকে দেখা যায়নি। ওয়ার্ডে গিয়ে একজন নারীকে দেখা গেল, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুকে নেবুলাইজারে কিছু একটা দিচ্ছেন। তিনি বললেন, শিশুটি তাঁরই সন্তান। কেউ না থাকায় তিনিই এই কাজ করছেন।ওষুধ কিনতে হয় বাইরে থেকে: ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগী বললেন, প্রায় সব ওষুধই তাঁদের বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। টাইফয়েডে আক্রান্ত মোমিনা বেগম বলেন, তিনি চার দিন ধরে ভর্তি আছেন। সব ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ১০টি ইনজেকশন কিনে আনতে বলা হয়েছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় মাত্র তিনটি কিনেছেন। পুরুষ ওয়ার্ডের রোগী বেলাল আহমেদও বাইরে থেকে ওষুধ কেনার কথা বললেন।জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, রোগীর তুলনায় ওষুধ সরবরাহ কম থাকায় রোগীদের কিছু ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়, তবে সব নয়।ওয়ার্ডের বিছানাগুলো নোংরা। খাবারের মানও খারাপ বলে অভিযোগ করলেন রোগীরা।অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই: স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তা চালানোর জন্য সরকারি চালক নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বললেন, উপজেলা পরিষদের আশ্বাসে বেসরকারিভাবে একজন চালককে দিয়ে এটি চালানোর ব্যবস্থা করা হলেও চালক এখনো বেতন পাচ্ছেন না। ফলে সমস্যাটি থেকেই গেছে।কাগজে ৫ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাস্তবে ১: সরকারি কাগজপত্রে এই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পাঁচটি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এগুলোতে সম্প্রতি ৩৪তম বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসা কর্মকর্তাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মাত্র পলাশ ইউনিয়নে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলোতে অবকাঠামোই নেই। নিয়োগ পাওয়া অন্য চার চিকিৎসা কর্মকর্তা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করলেও চারজনই আগামী ১ আগস্ট থেকে কোর্সে চলে যাচ্ছেন।
243,457
-1
entertainment
বিনোদন
০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪২
০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৫
বিনোদন,আলাপন
0
যেনতেন গান গাইতে পারব না
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1052929
মডেলিং ও অভিনয় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন শাহতাজ। গত বছরের শেষ দিকে ‘উড়ে যাই’ শিরোনামের একটি গান গেয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, ২০১৬ সালের শেষ দিন এবিসি রেডিও এফএম ৮৯.২-এ দিনভর বাজে ২০১৬ সালের সেরা ৫০টি গান। এই তালিকায় ৪ নম্বরে ছিল শাহতাজ ও বাম্মির গাওয়া সেই গান। তৌফিকের কথায় গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন অদিত। গান ও সমসাময়িক কাজ নিয়ে কথা হলো শাহতাজের সঙ্গেএবিসি রেডিওর সেরা গানের তালিকার ৪ নম্বরে ‘উড়ে যাই’ গানটি আছে। কেমন লাগছে? এটা আমার প্রথম গাওয়া মৌলিক গান। অনেক ভালো লাগছে। এই গানটি প্রকাশ পাওয়ার পরপরই অনেকে প্রশংসা করেছেন। আমার পরিচিত মানুষের পাশাপাশি অনেক অচেনা মানুষও এই দলে আছেন। তাঁদের প্রশংসার প্রাপ্তিই হলো ‘সেরা’ হওয়া।কিন্তু আপনার শুরু তো মডেলিং ও অভিনয় দিয়ে। সেগুলো বাদ দিয়ে কি সংগীতশিল্পী হবেন?আসলে ব্যাপারটা ও রকম না। আমি আমার ভালো লাগাকে মূল্যায়ন করি। যদি মনে হয় এই কাজটি ভালোমতো করতে পারব এবং সবাই পছন্দ করবে, তাহলে সেটাই করি। এটা যেকোনো মাধ্যমে হতে পারে।আবার নতুন গান শোনা যাবে কবে?এটা এখনই বলতে পারছি না। আমার যদি ভালো লাগে যেকোনো সময়েই গাইতে পারি। আর ‘উড়ে যাই’ গানটিতে এত প্রশংসা পেয়েছি যে এখন যেনতেন গান গাইতে পারব না। অবশ্যই সেটা আগের গানের চেয়ে ভালো হতে হবে।মডেলিং ও অভিনয়ের কী অবস্থা? আমি বেছে কাজ করি। তাই অভিনয় কম করা হয়। একটা বিজ্ঞাপনের কাজে এ মাসের ১৩ তারিখে ভারত যাচ্ছি। আরও কিছু কাজের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। দেখা যাক।সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক
280,457
আহমদ রফিক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:০১
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:০৫
-1
0
কঠোর হুঁশিয়ারির মধ্যেও শহীদ দিবস পালন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/764506
ভাষার মাসে আমরা শুনব জেলায় জেলায় ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিনের ঘটনা। আজ ঈশ্বরদীসৈয়দপুরের মতো অতটা না হলেও ঈশ্বরদীতে অবাঙালি তথা বিহারিদের সংখ্যা নিতান্ত কম ছিল না। মোহাজের হিসেবে ভারত থেকে পূর্ববঙ্গে আসা সত্ত্বেও তাদের উচ্চম্মন্যতা যথেষ্টই দেখা গেছে। পাকিস্তান নিয়ে তাদের প্রচণ্ড অহমিকা ছিল লক্ষ করার মতো।ঈশ্বরদীতে ভাষা আন্দোলনের সূচনা কিছুটা ভিন্ন ধারায় এবং তা বেশ চমকপ্রদ। তবে একটি তথ্য সৈয়দপুরের মতো ঈশ্বরদীর ক্ষেত্রেও সত্য যে এখানেও বিরূপ পরিস্থিতির কারণে ১৯৪৮ সালের মার্চের আন্দোলন জমে উঠতে দেখা যায়নি। কিন্তু ১৯৫২ সালে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। হয়তো তাই মাড়োয়ারি পান বিক্রেতার দোকানে সচল রেডিও থেকে আকাশবাণী কলকাতার প্রচারিত খবর, ঢাকায় ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও হতাহতদের কথা শুনে বিচলিত হন কয়েকজন স্থানীয় ছাত্রনেতা।তাৎক্ষণিক আবেগে অভিভূত ছাত্রনেতারা ঈশ্বরদীতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আবু মো. মুসা, বীরেন্দ্রনাথ রায়, সুশীল কুমার বিশ্বাস, আবদুল্লাহ আল মামুন খান প্রমুখ। এঁদের সঙ্গে ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা মাহবুব আহমেদ খান ও আফসার উদ্দিন। এঁরা স্থানীয় স্কুলের ছাত্রদের সমবেত করে প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করেন। এ তথ্য জানান কিরণ আহমেদ।এ সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন এবং বীরেন্দ্রনাথ রায়, বিধুভূষণ মজুমদার, আবু মুসা প্রমুখ। ঢাকায় ছাত্রজনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ বলাই বাহুল্য ছাত্রজনতার মধ্যে তীব্র সরকারবিরোধী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বটতলার এ সমাবেশ থেকে পথে বেরিয়ে আসে দীর্ঘ এক প্রতিবাদী মিছিল।মিছিল চলে আসে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে। ছাত্রীদের উদ্দেশে আহ্বান জানানো হয় ক্লাস বর্জনের। লক্ষণীয়, ছাত্রীরা মিছিলের ডাকে সাড়া দেয়। মিছিলটি ঈশ্বরদী বাজার হয়ে ডাকবাংলা মাঠে এসে ছাত্রনেতাদের সহযোগিতায় আরও একটি সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আফসারউদ্দিন আহমেদ। এ সভায় বক্তব্য দেন মাহবুব আহমদ খান, স্কুলশিক্ষক মজিবর রহমান, আবুল কালাম প্রমুখ। সভায় শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি আদায়ের এ আন্দোলনে স্থানীয় বিহারি ছাত্ররা যোগ না দিলেও সৈয়দপুরের মতো প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করতে সাহস পায়নি। বরং বাঙালি ছাত্রনেতাদের সিদ্ধান্ত—এরপর বিহারি ছাত্রদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রনেতারা স্কুলগেটে অবস্থান নেন এবং বিহারি ছাত্রদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন।বিহারি ছাত্ররা স্কুল-ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্লাস করতে চাইলে দুই পক্ষে সংঘাত হয়। বিহারি ছাত্ররা স্কুল কমিটি, স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতা নুরুজ্জামান খান এবং শিক্ষাসহ সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরে বিচারের দাবি করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার স্কুল কমিটির প্রধান এবং বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ছাত্রদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এই বলে যে ভাষা আন্দোলনের নামে পাকিস্তানবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। এই নির্দেশ অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হবে।প্রশাসনের এ হুঁশিয়ারি ছাত্রদের মধ্যে তীব্র প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ভাষা আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীদের ঐক্য আরও দৃঢ়তা পায়। এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের সংগঠিত করে ছাত্রনেতারা আন্দোলনে গতিবেগ সঞ্চারের চেষ্টা চালান। এ সময় স্থানীয় স্কুলের ছাত্রীরা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণে এগিয়ে আসেন। ছাত্রীদের এ তৎপরতায় নেতৃত্ব দেন সুফিয়া বেগম, জাহানারা প্রধান, নূরজাহান বেগম, হালিমা খাতুন, রাবেয়া খাতুন প্রমুখ ছাত্রী।১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রছাত্রীদের তৎপরতায় সংঘটিত ভাষা আন্দোলন অবাঙালি ছাত্র ও প্রশাসনের বাধা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময় ও পরিসীমায় শেষ হয়। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে সরকারি নির্দেশে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয় অগ্রণী ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল মামুনকে। পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে তিনি ভর্তি হন পাকশীর একটি স্কুলে।১৯৫৩-এর ভাষাশহীদ দিবস উদ্যাপনে ঢাকায় গৃহীত কর্মসূচির প্রভাব সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর সাংগঠনিক তৎপরতা বায়ান্নর চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না। বরং তুলনায় তা অনেক বেশি সংহত ছিল বলে আমার বিশ্বাস। বিরোধিতার মুখেও ঈশ্বরদীর ছাত্রছাত্রীরা দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করেন।পরিকল্পনামাফিক চেষ্টা চলে নাজিমুদ্দিন স্কুলের বিহারি ছাত্রদের আন্দোলনে, মিছিলে টেনে আনতে। কিন্তু এর ফল হয় বিপরীত। তর্ক ও বাদানুবাদে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। বাঙালি ছাত্র মিছিলে হামলায় যুক্ত হয় পুলিশের লাঠিপেটা। সংঘর্ষে আহত হন লুৎফর রহমান, আবু মো. মুসা প্রমুখ ছাত্রনেতা। পুলিশ এঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এত সব সত্ত্বেও শহীদ দিবস ঈশ্বরদীতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। একইভাবে সমাপন ১৯৫৪-এর শহীদ দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি।
200,059
সাঈদা ইসলাম, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৩০
১২ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৩১
চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
প্রচারের অভাবে ফাঁকা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/341110
নির্যাতিত নারী ও শিশুদের সহায়তা দিতে গত ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে চালু হয়েছে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার। কিন্তু প্রচার কম থাকায় সাড়ে আট মাসে নির্যাতিত কোনো নারী নিজ থেকে এই সেন্টারে আসেননি। এখন পর্যন্ত সেবা নেওয়া ৩৫ জনের বেশির ভাগই থানার মাধ্যমে এই সেন্টারে এসেছেন।ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, যথাযথ প্রচার পেলে আরও যথেষ্টসংখ্যক নির্যাতিতকে সেবা দেওয়া সম্ভব। এ পর্যন্ত যারা এই সেন্টারে এসেছে, তাদের বেশির ভাগই হারিয়ে যাওয়া শিশু। এ ছাড়া বাড়ি থেকে রাগ করে পালিয়ে আসা নারীদের কেউ কেউ এখানে সেবা পেয়েছেন।গতকাল শনিবার সাপোর্ট সেন্টারে গিয়ে একজন ভিকটিমের খোঁজ পাওয়া গেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ঈদুল আজহার রাতে থানার মাধ্যমে এখানে এসেছেন। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা মিটে গেছে। বিকেলে ফিরে যাচ্ছেন।সেন্টারে দায়িত্বরত কনস্টেবল জনি দেব দাস জানান, গত ২০ দিনে এখানে দুজন ভিকটিম এসেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর এখানে রূপবান নামের ১২ বছর বয়সী একটি হারিয়ে যাওয়া শিশুকে আনা হয়েছিল। অভিভাবকের খোঁজ না পাওয়ায় শিশুটিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অপরাজেয় বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।জানা গেছে, ইউএনডিপির সহায়তায় পুলিশের সংস্কার কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার কম্পাউন্ডে এই ভবন তৈরি হয়েছে। নির্যাতিত যেকোনো নারী বা শিশু পাঁচ দিন বিনা খরচে এখানে থাকার সুযোগ পাচ্ছে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে অনেককে সাত থেকে সর্বোচ্চ ১১ দিনও রাখা হয়েছে। নয় বছরের নিচের ছেলেশিশুরাও এখানে সেবা পাচ্ছে।সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, সেন্টারটি চালুর আড়াই মাস পর এখানে প্রথম ভিকটিম আসেন। স্বামীর সঙ্গে রাগ করে লালমনিরহাট থেকে পালিয়ে আসা ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে এখানে দিয়ে যান অপরাজেয় বাংলাদেশ সংগঠনের কর্মীরা। পরে তাঁকে এখানে পাঁচ দিন রেখে কাউন্সেলিং শেষে স্বামীর কাছে ফেরত পাঠানো হয়।সাপোর্ট সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন উপপরিদর্শক ইয়াসমিন আরা বেগম। এ ছাড়া আরও ছয়জন নারী ও দুজন পুরুষ কনস্টেবল এখানে কর্মরত আছেন। ইয়াসমিন আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেন্টারটি নতুন হওয়ায় অনেকেই জানেন না। সেন্টারের প্রচারের জন্য আমরা কিছু লিফলেট বিলি করেছি। আরও প্রচার দরকার। তবে ধীরে হলেও সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে।’পুলিশ সংস্কার কর্মসূচির জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফওজিয়া খন্দকার বলেন, ‘শুরুতে আমরা সেখানে কর্মরতদের প্রশিক্ষণের ওপর বেশি জোর দিয়েছি। এখন সেন্টারের প্রচার বাড়ানোর জন্য নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রচার বাড়ানোর জন্য নগরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বিলবোর্ড বা পোস্টার সাঁটানোর চিন্তাভাবনা চলছে। এ ছাড়া স্থানীয় কেব্ল টিভিতেও প্রচার চালানোর পরিকল্পনা আছে। তবে প্রচারের জন্য গণমাধ্যমের সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
99,873
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:০৭
০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:৫৪
অপরাধ,রাজধানী (জাতীয়)
null
রাজধানীতে জেএমবির সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1055957
রাজধানীর উত্তরা ও কলাবাগান থেকে জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাব-৪ তাদের আটক করেছে বলে আজ সোমবার গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়েছে।
281,539
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৩
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:১৯
অপরাধ,লক্ষ্মীপুর সদর,চট্টগ্রাম বিভাগ
null
লক্ষ্মীপুরের বিএনপি নেতাকে চট্টগ্রাম থেকে তুলে নিয়ে গেছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/140446
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা বিএনপির (পূর্ব) সাংগঠনিক সম্পাদক, হাজির পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে ডিবি ও র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রামে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সমেঞ্চলনে ওমর ফারুকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুকের স্ত্রী পারভিন আক্তার অভিযোগ করেন, বুধবার (গতকাল) ভোর রাত চারটার দিকে পতেঙ্গার কাটগড় এলাকায় তাঁদের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত আটজন সদস্য বাসায় ঢুকে ফারুককে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে র‌্যাব-৭-এর একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও লক্ষ্মীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ফারুকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুকের বোন পারভীন আক্তার বলেন, বুধবার ভোররাতে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর ভাইকে ওই আত্মীয়ের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা। বাসার সামনে র‌্যাব-৭-এর একটি গাড়িতে তুলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরও জানান, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা থাকলেও তিনি জামিনে আছেন। সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুককে জীবিত ফেরত পেতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।অভিযোগের ব্যাপারে র‌্যাব-৭-এর পরিচালক কর্নেল মিজবাহ আহমেদ জানান, ওমর ফারুক নামে কাউকে তাঁরা আটক কিংবা গ্রেপ্তার করেনি। পতেঙ্গা ও লক্ষ্মীপুর তাঁদের আওতাধীন নয়।লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, ওমর ফারুক নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না।
49,358
মারুফা ইসহাক ও দেব দুলাল গুহ
education
শিক্ষা
১৩ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০২
১৩ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৬
স্বপ্ন নিয়ে,শিক্ষাঙ্গন
0
স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা
http://www.prothom-alo.com/education/article/190996
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটা গমগম করছে, জাকজমক ভাব। মাইকের আওয়াজ, যানবাহনের ভিড়, নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যস্ততা-এসব কিছু ছাপিয়ে কালো গাউনে প্রাণোচ্ছল তারুণ্যের ছড়াছড়ি। আর তা হবেই না কেন? দিনটি ছিল দেশের সর্ববৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮তম সমাবর্তনের দিন ৭ এপ্রিল, ২০১৪।এই দিনটি ঘিরে নব্য গ্র্যাজুয়েটদের মনে উত্তেজনার কোনো শেষ নেই। অনুষ্ঠানের তিন দিন আগে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে গাউন আর ক্যাপ সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক। হোক সেটা কার্জন হল বা কলা ভবন, রাজু ভাস্কর্য, শহীদ মিনার বা অপরাজেয় বাংলা, অথবা কোনো গাছের পাশে বা কোনো চত্তরের সামনে—ছবি তোলা থেমে নেই কোথাও। গাউন আর ক্যাপ পরে এসব জায়গায় ছবি তুলতে না পারলে অপূর্ণতা থেকে যাবে। অনুষ্ঠানের আগের দিন এমনটা বললেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সের রেকর্ড সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত জ্যোতি প্রকাশ বিশ্বাস। জ্যোতি জানালেন, ‘দীর্ঘ চার বছরের সাধনার স্বীকৃতি পাচ্ছি আজ, ভীষণভাবে আনন্দিত।’আকাশে ক্যাপ ছুড়ে আর একটু লম্ফঝম্ফ দিয়ে ছবি না তুললে তো গ্র্যাজুয়েট হওয়ার ভাবটাই আসে না। এমনটাই মনে করেন অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের মুনতাহি মৌরিন। উহ্, কোনো জায়গাই বাদ রাখব না। সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল খেলার মাঠে। সমাবর্তনের শোভাযাত্রা পৌঁছানোর পরপরই শুরু হয় সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান। নব্য গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।সমাবর্তন উপলক্ষে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বন্ধুরা একই রকম নতুন পোশাক পরে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে সুজয় কুমার নন্দী তাঁর ক্যাপ সামলাতে সামলাতে বললেন, ‘গাউন আর ক্যাপটা পরে যে কী ভালো লাগছে, বোঝাতে পারবো না। গাউনটার মধ্যে অনেকটা হ্যারি পটার ভাব আছে। মনে হচ্ছে আমরা হগওয়ার্টস স্কুলে উইচক্রাফট পড়ছি।’ হাসতে হাসতে বললেন, ‘আগে যখন সিনিয়রদের দেখতাম এমনি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, দিন গুনতাম, কবে আমিও পরব। আজকে সেই বহুল প্রতীক্ষিত দিন।’ একদম ঠিক। তাঁর কথার সঙ্গে একমত সাইফী ইকবাল ও কাজী নাজমুল মাহমুদ। ‘গত চার বছরের পড়াশোনার পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পূর্ণতা এল সমাবর্তনের মাধ্যমে। আজকের দিনটাকে আরও স্মরণীয় করতে ঝিনাইদহ থেকে আমার মা-বাবা আসবেন। একসঙ্গে ছবি তুলব।’ আবেগে আপ্লুত নাজমুল বললেন এসব কথা।তাঁর মতো আরও অনেকেই এখনো গাউন জমা দেননি—প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে প্রিয় জায়গাতে ছবি তুলবেন বলে, এমন দিন তো আর বারবার আসবে না।নৃবিজ্ঞান থেকে প্রথম স্থান অধিকারী ইবতেসুম আফরিন জানালেন, ‘দেখতে দেখতে চারটি বছর পার হয়ে গেল, গ্র্যাজুয়েট হয়ে গেলাম! এই সুখের অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।’ওয়াসিফ আদনান হক এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন। সহপাঠীদের মতো কালো-হলুদ গাউন জড়িয়ে এসেছেন তিনিও। অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে প্রথম হয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন দেবযানী দে।তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের হাসান মোশাররফ রিফাত গেছেন গাউন জমা দিয়ে সার্টিফিকেট তুলতে। সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে খুবই আনন্দিত তিনি। বললেন, ‘দেশের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বিশ্ববিদ্যালয়। ঐতিহাসিক এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হতে পারার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলাম আজকে।’সেই ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। আর এ বছর শেষ হলো ৪৮তম সমাবর্তন। আকাশছোঁয়া স্বপ্নের পথে বড় একধাপ অতিক্রম হলো মাত্র। আরও যেতে হবে বহুদূর। চোখে-মুখে সেই স্বপ্ন আটকে হাসিমাখা মুখ নিয়ে এমনটাই প্রত্যয় তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের।
65,691
পার্থ শঙ্কর সাহা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ মে ২০১৬, ০১:৫০
২৭ মে ২০১৬, ০২:৪৪
-1
0
জেলেরা পাবেন পরিচয়পত্র
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/869773
বংশপরম্পরায় জেলে মো. সিরাজ মাঝিকে জলদস্যু হিসেবে মেঘনার চর জহিরুদ্দিন থেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ভোলার দৌলতখানের এই বাসিন্দা ছয় মাস জেল খেটে ২০১৪ সালের শেষ দিকে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এই মুক্তির প্রক্রিয়ায় তাঁকে ভিটেমাটি বিক্রি করতে হয়েছে। মুক্তির কয়েক মাসের মধ্যেই সিরাজ হাতে পান জেলে পেশার স্থায়ী পরিচয়পত্র, যেটি জেলে কার্ড নামে তাঁদের কাছে পরিচিত।সম্প্রতি সিরাজ মাঝি তাঁর জেলে কার্ডটি দেখিয়ে প্রথম আলোকে বললেন, ‘সেদিন এই কার্ডটি সঙ্গে থাকলে হয়তো আমাকে জলদস্যুর পরিচয়ে জেল খাটতে হতো না।’মেঘনায় মাছ শিকারি জেলেরা জানান, এই পেশার সঙ্গে যুক্তদের সঠিক সংখ্যা না জানা থাকায় জাল, চাল, নৌকাসহ নানা ধরনের সরকারি সাহায্য অনেক ক্ষেত্রেই পান ভুয়া জেলেরা। দুর্ঘটনার শিকার হলে প্রাপ্য সরকারি সহায়তা পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। পরিচয়পত্র না থাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সরকারি বাহিনীর হাতে আটক হলে অপরাধী হিসেবে জেলে পচতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানে মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশের জেলেদের সংখ্যা গুনে তাঁদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে।মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার জেলের নিবন্ধন শেষ হয়েছে। ১২ লাখ জেলের পরিচয়পত্রও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আগামী বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা।সারা দেশের ৪৮২ উপজেলায় এই নিবন্ধনের কাজ চলছে। এ জন্য উপজেলা কমিটি আছে। কমিটি জেলেদের নিবন্ধনের জন্য গণনাকারী নিয়োগ করেছে। প্রতি গণনাকারী জেলেপল্লিতে গিয়ে ৪০০ জন করে জেলে গণনা করেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম, ইউনিয়ন পরিষদের কাউন্সিলর, নিকটবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এঁদের শনাক্ত করতে সহায়তা করছেন।‘জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের’ পরিচালক আরিফুর রহমান তরফদার প্রথম আলোকে বলেন, গণনাকারীর তালিকা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আসার পর তা আবার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কোনো আপত্তি থাকলে আবার তালিকা সংশোধন করা হয়। ভুয়া নিবন্ধন এড়াতে এই সতর্কতা।নিবন্ধনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে জাটকা ধরা বন্ধ করতে সরকার পরিবারপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার প্রকল্প শুরু করলে ভুয়া জেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। চাল দেওয়া ছাড়াও বিকল্প আয়ের জন্য গরু, হাঁস-মুরগি পালনের কর্মসূচিও নেওয়া হয়। তবে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে এমন কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে, আগের চেয়ে জেলের সংখ্যা কমে গেছে।জেলেদের দেওয়া পরিচয়পত্রে থাকছে বাংলা ও ইংরেজিতে তাঁদের নাম ও ঠিকানা। পরিচয়পত্র বহনকারী যে বাংলাদেশের জেলে, সেটি ইংরেজিতে উল্লেখ আছে পরিচয়পত্রের সামনের অংশে। পেছনের অংশে জেলেদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরটির পাশাপাশি জেলে হিসেবে তাঁদের নিবন্ধন নম্বরটি দেওয়া আছে।(প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নেয়ামতউল্লাহ, ভোলা এবং আলম পলাশ, চাঁদপুর)
226,581
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ জানুয়ারি ২০১৭, ০৪:২৫
২০ জানুয়ারি ২০১৭, ০৪:২৭
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
গুলশান ১ ডিএনসিসি মার্কেটের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শেষ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1063539
গুলশান ১ নম্বরের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শেষ হয়েছে। খালি করা জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান তুলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আনিসুল হক।গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেটের ধ্বংসস্তূপ সরানোর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করতে গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে গুলশান ১ ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগে। গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটের দুটি অংশ ছিল। এর মধ্যে আগুনে কাঁচা মার্কেট পুরোপুরি ধসে যায় এবং পাকা মার্কেটের দোকানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডিএনসিসি ৪ জানুয়ারি থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করে। ১১ জানুয়ারি থেকে ডিএনসিসির সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে অংশ নেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের একটি দল। সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক বলেন, ২ জানুয়ারি রাতের আগুনে কাঁচা মার্কেটের চারতলা ভবন সম্পূর্ণভাবে ধসে গেছে। ডিএনসিসির অনুরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল ও যানবাহন নিয়ে ভেঙে পড়া মার্কেট অপসারণের কাজে সহায়তা করে। সবার সহযোগিতায় ১৫ দিনে অপসারণের কাজ শেষ হয়েছে।আগুনে পাকা মার্কেট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে পাকা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ৬ জানুয়ারি থেকে মার্কেট পুনরায় চালু করেছেন। পাকা মার্কেটে ব্যবসা করা ঝুঁকিপূর্ণ কি না এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, পাকা মার্কেট পরীক্ষা করার জন্য ১২ জানুয়ারি থেকে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে এবং তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হিসেবে পাকা মার্কেটের পূর্ব অংশে স্টিল প্রপস লাগানো হয়েছে। বুয়েটের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পাকা মার্কেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।মার্কেটে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কোনো কমিটিই এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।’ তদন্ত প্রতিবেদন যাতে প্রকাশ করা হয়, সে বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন মেয়র।অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে মেয়র বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। ধসে পড়া মার্কেটে মোট ২৯১টি দোকান ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য ইতিমধ্যে মার্কেটের পার্কিংয়ের দুই পাশে ৮৮টি অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করেছে ডিএনসিসি। খালি করা জায়গায় আগামীকাল (আজ শুক্রবার) থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান নির্মাণ করে দেওয়া হবে।ধসে পড়া ডিএনসিসি মার্কেটের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আগের মেয়রের সময় এখানে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে একটি দরপত্র হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের নিয়ে নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তবে কবে নাগাদ মার্কেট নির্মাণ করা হবে, সে বিষয় কোনো কিছু এখন বলা যাচ্ছে না।’
285,123