author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
তানজিম আল ইসলাম | life-style | জীবনযাপন | ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৭ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:২১ | অধুনা,জেনে নিন | 0 | ভাঙা সংসার জোড়া লাগে? | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1043431 | সংসার ভেঙে গেলে ভাঙা সংসার কি পুনরায় জোড়া লাগানো যায়? যদি সহজভাবে বলি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো কারণে তালাক কিংবা বিবাহবিচ্ছেদ হলে তাঁরা যদি পুনরায় সংসার করতে চান, আছে কি উপায়? আইন কি সমর্থন করে তাঁদের মধ্যে পুনরায় সংসার গড়ার? স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো কারণেই হোক বিবাহবিচ্ছেদ হতেই পারে কিংবা দুজনে পৃথকও থাকতে পারে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী যদি চান তাঁরা পুনরায় সংসার করবেন, তাহলে আইন কিন্তু তা সমর্থন করে। আইন অনুযায়ী নিজেরা আবার ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে পারেন। সে জন্য আইনের কিছু বিধিনিষেধও মানতে হবে।কী আছে আইনে মুসলিমদের ক্ষেত্রে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে অনুযায়ী যেভাবেই বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাক ঘটুক না কেন, যে পক্ষ তালাক দিতে চাইবে, সে পক্ষ তালাক উচ্চারণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপর পক্ষের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মিউনিসিপ্যালিটি বা সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যানের বা মেয়রের কাছে নোটিশ লিখিতভাবে পাঠাবে। ওই নোটিশের কপি খুব দ্রুত অপর পক্ষের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবে। যে পক্ষ থেকেই তালাকের নোটিশ দেওয়া হোক না কেন, চেয়ারম্যান বা মেয়র নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে উভয়পক্ষের মনোনীত প্রতিনিধি নিয়ে সালিশি পরিষদ গঠন করবেন। সালিসে পরিষদ উভয়পক্ষকে ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করবে। এ সময় যদি স্বামী-স্ত্রী মনে করেন তাঁদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে তালাকের নোটিশ দেওয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রে তাঁরা সমঝোতা করে তালাক প্রত্যাহার করে নিয়ে পুনরায় সংসার করতে পারেন। এ জন্য নতুন করে বিয়ের প্রয়োজন হবে না।অনেক সময় সালিস পরিষদে না গিয়েও নিজেরা তালাক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে সালিস পরিষদে সে ঘোষণাটি পাঠিয়ে অবগত করলেও হয়। কিন্তু তালাকের নোটিশ পাঠানোর পর যদি ৯০ দিন পার হয়ে যায় অর্থাৎ তালাক কার্যকর হওয়ার পর স্বামী বা স্ত্রী যদি অন্যত্র বিয়ে না করেন তাহলে তাঁরা পুনরায় নতুন করে বিয়ে করে নিতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, একই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয়বারের মতো তালাক কার্যকর হলে তাঁদের পুনরায় বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে (দেখুন পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ আইন ১৯৬১-এর ৭ (৬) ধারা)। স্ত্রী যদি তালাকের নোটিশ পাঠানোর সময় গর্ভবতী থাকেন, তাহলে সন্তান প্রসবের আগে যেকোনো সময় তালাক প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। আবার সংসার করতে পারেন। সন্তান জন্মদানের পর যদি সংসার করতে চান, তাহলে পুনরায় বিয়ে করতে হবে।কেউ যদি তালাকের পর অন্যত্র বিয়ে করেন, তাহলে ওই বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় পুনরায় আগের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সংসার শুরু করতে পারবেন না। যদি কেউ পরেরবার বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় আগের তালাক দেওয়া স্বামী বা স্ত্রীকে বিয়ে করেন, তাহলে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধে অপরাধী হবেন। কেউ যদি আলাদা বসবাস করেন তাহলে তাঁরা নতুন করে একত্রে থাকার ঘোষণা দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। আবার স্বামী বা স্ত্রী যদি কোনো কারণে সংসার করতে না চান, তাহলে দাম্পত্য অধিকার দাবি করে স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ পারিবারিক আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন। সেই সময় আদালতে এসেও স্বামী-স্ত্রী দুজনে আপস-মীমাংসা করে পুনরায় দাম্পত্য সম্পর্ক শুরু করতে পারেন। যদি ভাঙা সংসার নতুনভাবে জোড়া লাগে, তাহলে তাঁরা আগের মতোই স্বামী-স্ত্রী পরিচয় পাবেন। তাঁদের আগে যেমন অধিকার ছিল পরস্পরের ওপর, তেমনই অধিকার সংসার জোড়া লাগার পরও থাকবে। সন্তান, ভরণপোষণ দেনমোহর সবকিছুই স্বাভাবিক অধিকার হিসেবে থাকবে।লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট | 276,198 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৯:৪০ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১০:১০ | রাজনীতি | null | ‘ভালোবাসা’ পেলেন না হাজি সেলিম! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/640573 | ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু, ভালোবাসা পেলাম না’—প্রখ্যাত গায়ক এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠের গানটি গেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মো. সেলিম। আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে তিনি গানটি গান। এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাংসদ নূরজাহান বেগম মুক্তাও গান গেয়েছেন।হাজি সেলিমের গানটির মিউজিক ভিডিওর দৃশ্যধারণ করা হয় তাঁর নির্বাচনী এলাকার লালবাগ কেল্লায়। কখনো দুই হাত উঁচিয়ে, কখনো মাথা নেড়ে গানটির মিউজিক ভিডিওতে পেশাদার শিল্পীদের মতো অভিনয় করেন তিনি। পুরো গানটি নিজের কণ্ঠে গেয়ে শেষ করেন এই সাংসদ।ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংসদ নূরজাহান বেগম মুক্তা ‘মনেরও রঙে রাঙাব..’ গানটি গান। এই গানের দৃশ্যধারণ করা হয় রাজধানীর হাতিরঝিলে।এরপর দর্শকদের ‘শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে..’ গানটি উপহার দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পেশাদার ব্যান্ড তারকাদের মতোই চোখে চশমা, হাতের গিটার নিয়ে গানটি দর্শক-শ্রোতাদের শোনান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও নিয়মিত গান গাইতেন তিনি।অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে খালি গলায় সাংসদ ও যুবলীগ নেতা নূরুন্নবী চৌধুরী, সাংসদ আবদুল ওয়াদুদও গান গেয়ে শোনান। আর সাংসদ সানজিদা খানম, অনুপম শাহজাহান জয় কবিতা পাঠ করেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১২ আসনের সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী গল্প, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার, নেত্রকোনা-৫ আসনের সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল ঈদের বিভিন্ন মজার স্মৃতিচারণা করেন।ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মাইকেল।আরও পড়ুন:গাইবেন হাজি সেলিম, খুদে বার্তায় আমন্ত্রণ | 171,712 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ মে ২০১৯, ২২:৪২ | ২৮ মে ২০১৯, ১২:২৬ | রাজধানী,প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী,গণমাধ্যম,সাংবাদিক,সাংবাদিকতা | 0 | ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার অনুষ্ঠিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1596138 | ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) দুই যুগ পূর্তি ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ রোববার। ১৯৯৫ সালের ২৬ মে পেশাদার রিপোর্টারদের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের সামনে জাতীয় পতাকা, সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে আলোচনা, স্মৃতিচারণ ও পরে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিআরইউর সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা। | 403,562 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ আগস্ট ২০১৪, ০১:৪৩ | ১৩ আগস্ট ২০১৪, ০১:৫৩ | খবর,আইন ও বিচার | 0 | বিচারক ফারুক আহম্মেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/289780 | অবসরে যাওয়া ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফারুক আহম্মেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত চিঠি সব বন্দরে পাঠানো হয় বলে অভিবাসন পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে মামলার রায় দেওয়ার অভিযোগ উঠলে এর পেছনে আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে কি না, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।দুদক সূত্র জানায়, বিচারকের দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য উপপরিচালক যতন কুমার রায়কে প্রধান করে গতকাল দুই সদস্যের দল নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। দলের অন্য সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম।দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, অবসরে যাওয়ার আগে বিচারক ফারুক আহম্মেদ নয় কোটি টাকার হেরোইন পাচারের দুটি ও সাড়ে তিন হাজার ইয়াবা পাচারের একটি মামলার সাত বিদেশি আসামিসহ ১১ জনের বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে তাঁদের খালাস দেওয়ার আদেশ দেন। তিন মামলার ক্ষেত্রেই জব্দ তালিকার সাক্ষীদের সাক্ষ্য না নিয়েই তিনি মামলার কার্যক্রম শেষ করেন।দুদক সূত্র আরও জানায়, এ ছাড়া ১৫টি চাঞ্চল্যকর চোরাচালান মামলার আসামিকেও খালাস দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই বিচারকের বিরুদ্ধে। আবার দুটি হেরোইন মামলায় অতি দ্রুত বিচারকাজ শেষ করে আসামিদের খালাস করে দেন তিনি। আর এ প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রেই বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে বিচারক ফারুক আহম্মেদের বিরুদ্ধে। | 84,642 |
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ মার্চ ২০১৭, ০২:০০ | ৩১ মার্চ ২০১৭, ০২:০১ | ময়মনসিংহ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | নান্দাইলে মহিলা আ.লীগের নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1128416 | ময়মনসিংহের নান্দাইলে মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাজনীতি না ছাড়ার কারণে চাচাতো দেবর তাঁকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের চরউত্তরবন্দ গ্রামে অবস্থিত ওই নেত্রীর বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত নেত্রীর নাম কাজলি বেগম (৩৫)। তিনি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পারভীন আক্তার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, কাজলি বেগম তাঁর জা হন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ায় তাঁর জাকে ঘন ঘন বাড়ির বাইরে যেতে হয়। এতে পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে জানিয়ে চাচাতো দেবর রফিকুল ইসলাম তাঁকে রাজনীতি ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু দেবরের কথায় কান দেননি কাজলি বেগম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কাজলির বসতঘরে গতকাল দুপুরে তালা মারেন তিনি। তাঁর জা বাজার থেকে গরুর খাদ্য ক্রয় করে বাড়িতে ঢুকে দেখতে পান, বসতঘরে তালা মারা। এ দৃশ্য দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠানে দাঁড়িয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরে তালা মারার জন্য দেবরের বিচার করতে লোকজন ডাকবেন বলতে থাকেন। এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে রফিকুল ইসলাম কুড়াল দিয়ে কাজলির মাথায় কোপ দেন। এতে কাজলি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পরে তাঁকে আরও কুপিয়ে রফিকুল দ্রুত পালিয়ে যান। কাজলির স্বামী মো. জহিরুল ইসলাম খবর পেয়ে বাড়ি থেকে আহত স্ত্রীকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসাধীন থাকার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজলির স্বজনদের জানিয়েছেন।৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সহকারী দফাদার রুমা রানী মুঠোফোনে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর কাজলির মৃতদেহ বাড়িতে আনা হবে। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান কাজলি হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। | 308,413 |
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মার্চ ২০১৫, ০২:১৫ | ১৩ মার্চ ২০১৫, ০২:১৬ | খবর,খাগড়াছড়ি,অপরাধ | 0 | মহালছড়িতে শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/475702 | খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে গত বুধবার রাতে একজন শিক্ষককে নিজ বাড়িতে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ওই শিক্ষকের স্ত্রী আহত হন।নিহত মিলন বিকাশ চাকমা (৫৫) রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার নিম্ন কেঙলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাড়ি খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম ক্যাংঘাট গ্রামে।হামলায় আহত মিলন বিকাশ চাকমার স্ত্রী বীরলা চাকমাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মিলন বিকাশের আত্মীয় উষাতন চাকমা জানান, রাতে দুর্বৃত্তরা মিলনের ঘরে ঢোকে। এ সময় মিলন ও তাঁর স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। দুর্বৃত্তরা মিলনকে গলা কেটে হত্যা করে। একপর্যায়ে তাঁর স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তিনি টর্চলাইট হাতে মুখোশ পরা এক ব্যক্তিকে দেখতে পান। ওই সময় তিনি চিৎকার করে উঠলে ওই দুর্বৃত্ত তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাঁদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।পুলিশ জানায়, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মিলনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।মিলনের আত্মীয় মাইসছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তিনি বলেন, পেশাদার খুনিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।মহালছড়ি থানার ওসি সেমায়ুন কবির চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় মিলন বিকাশের ছেলে ওয়াশিংটন চাকমা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। | 122,646 |
মো. মাহবুবুর রহমান | education | শিক্ষা | ০৫ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০২ | ০৫ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০২ | পড়াশোনা | 0 | বিশ্ব-ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/65437 | বিরাম চিহ্ন অংশ-১৪প্রিয় শিক্ষার্থী, সমাপনী পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১০ নম্বর প্রশ্ন থাকবে ‘বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনর্লিখন’-এর ওপর। নম্বর থাকবে ৫। তোমাদের চর্চার জন্য নিচে এর কিছু নমুনা দেওয়া হলো।৩৭.জলপ্রপাত দেখতে চাইব কিন্তু পাহাড় দেখব না একি কখনো সম্ভব সম্ভব নয় কারণ পাহাড় বেয়ে জলের নিচে নামাটা না দেখে উপায় তো নেই কিন্তু এমন জলপ্রপাত কি হতে পারে না যা পাহাড়ের ওপর থেকে পড়ছে না আমাদের কাণ্ডজ্ঞান বলবে না পাহাড় থেকেই পড়তে হবে নইলে জলের প্রপাত বা পতন হবে কেমন করে।উত্তর: জলপ্রপাত দেখতে চাইব, কিন্তু পাহাড় দেখব না—একি কখনো সম্ভব? সম্ভব নয়। কারণ পাহাড় বেয়ে জলের নিচে নামাটা না দেখে উপায় তো নেই। কিন্তু এমন জলপ্রপাত কি হতে পারে না যা পাহাড়ের ওপর থেকে পড়ছে না? আমাদের কাণ্ডজ্ঞান বলবে—না, পাহাড় থেকেই পড়তে হবে, নইলে জলের প্রপাত বা পতন হবে কেমন করে?৩৮.কিন্তু বিশ্ব ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি সে যে কী বিস্ময়কর বলে কাউকে বোঝান সম্ভবই নয় একমাত্র নিজের চোখে দেখলে তা বিশ্বাস হবে ব্যাপারটা এ রকম।উত্তর: কিন্তু বিশ্ব-ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র। কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে! পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে। এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সে যে কী বিস্ময়কর, বলে কাউকে বোঝান সম্ভবই নয়। একমাত্র নিজের চোখে দেখলে তা বিশ্বাস হবে। ব্যাপারটা এ রকম।৩৯.সমতলের ওপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে সামনের সবকিছু তো ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু কই কিছুই তো ভাসছে না ভাসছে না তার কারণ যে মাটির ওপর দিয়ে এই খরস্রোতা নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে হঠাৎ করেই এক বিশাল ফাটল।উত্তর: সমতলের ওপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে। সামনের সবকিছু তো ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কই? কিছুই তো ভাসছে না। ভাসছে না, তার কারণ—যে মাটির ওপর দিয়ে এই খরস্রোতা নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে হঠাৎ করেই এক বিশাল ফাটল।৪০.ছেলের কথা শুনে মা হাসেন বাবা কিন্তু হাসলেও ছেলের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন ওর বাবা ম্যাজিস্ট্রেট হলেও আগে যে স্কুলশিক্ষক ছিলেন ছেলেটি কিন্তু বড় হতে থাকে প্রকৃতির অনেক কিছু নিয়েই তার নানা রকম ভাবনা আর জানার আগ্রহও বাড়তে থাকে।উত্তর: ছেলের কথা শুনে মা হাসেন। বাবা কিন্তু হাসলেও ছেলের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওর বাবা ম্যাজিস্ট্রেট হলেও আগে যে স্কুলশিক্ষক ছিলেন। ছেলেটি কিন্তু বড় হতে থাকে। প্রকৃতির অনেক কিছু নিয়েই তার নানা রকম ভাবনা আর জানার আগ্রহও বাড়তে থাকে। সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল ব্যাংক পাবলিক স্কুল, ঢাকা পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | 25,677 |
নাবিল ফাহমি | opinion | মতামত | ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৪ | ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৬ | আন্তর্জাতিক,মতামত | 0 | শান্তির জন্য আপস-মীমাংসা দরকার | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1010943 | মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে আরব বিশ্ব এক মৌলিক পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়েছে। তবে তার চেয়ে বেশি মৌলিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সে। কিন্তু তার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষমতা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অনৈক্যের কারণে জটিল হয়ে উঠেছে। আর এই অনৈক্যের বিষয়টা হচ্ছে, এই অঞ্চল ও প্রতিটি সমাজে আলাদা আলাদাভাবে পরিবর্তনের রূপটা কেমন হবে।এই অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি ভূমিকা রয়েছে। তাদের কাজ হচ্ছে, প্রতিটি দেশের সরকারকে এই সংস্কারের ইচ্ছা ও পথ খুঁজে পেতে সহায়তা করা। কিন্তু আরবরা যাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে, সেটা বরং আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারা যেন নিজের ভবিষ্যৎ নির্মাণের নেতৃত্ব নিজেরাই নেয়।২০১১ সালের আরব বসন্তের বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই এটা পরিষ্কার হয়ে যায়। এই অঞ্চলে আগে থেকেই নানা পরিবর্তন—জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন, যার মধ্যে আছে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বেকার তরুণের সংখ্যা বৃদ্ধি—শুরু হলেও আরব বসন্তের ঝাপটায় মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অনেক দেশই বিস্মিত হয়েছিল। এই পরিবর্তনের দাবির পেছনে আরব তরুণেরা বড় ভূমিকা পালন করেছিল। একইভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তিও এতে বড় নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছিল। এটা যেমন তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করে, তেমনি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে দেয়। ফলে সরকার জ্ঞান ও যোগাযোগের ওপর যে একচেটিয়া কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিল, তা একরকম ভেঙে পড়ে।কিন্তু এই বিস্ফোরণের মূল কারণটা হচ্ছে, এই অঞ্চলে যে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছিল, আরব দেশের সরকার ও সমাজ তা ঠিকঠাক ব্যবস্থাপনা করতে পারেনি। আরব বসন্তের আরেকটি কারণ হচ্ছে, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এখানকার দেশগুলোর অতিমাত্রায় বিদেশি রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা। বিদ্যমান ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে এমন প্রবণতার সঙ্গে তারা খাপ খাওয়াতে পারেনি। এতে বোঝা যায়, অনেক দেশের সরকারের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক অ্যাজেন্ডা তাদের নিজেদের নয়, বাইরে থেকে চাপানো।কথা হচ্ছে, আরও সক্রিয় ও কার্যকর শাসনব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে প্রকৃত রাজনীতি ও নাগরিক উদ্যোগের জায়গা তৈরি করতে হবে, যার মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস ও সহযোগিতার লালনপালন হবে। এই অঞ্চলের সমস্যা এত জটিল ও গভীর যে বিচ্ছিন্ন ও ওপর-নিচ মনোভঙ্গি নিয়ে এর সমাধান করা যাবে না। আরব সমাজের সৃজনশীলতা আবিষ্কার করতে হবে। কিছু দেশের প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি তৈরি করতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা লাগবে, যেখানে অন্যদের বকেয়া ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলো আমলে নিতে হবে।তিউনিসিয়ার কথাই ধরুন। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের অনেক মানুষই তাকে এই অঞ্চলের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে সফল দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। এটা ঠিক, তিউনিসিয়ার বিবদমান দলগুলো প্রায়ই নিজেদের সঙ্গে আপস করে বাইরের সমর্থন ছাড়া টিকে থাকতে সক্ষম একটি শাসনকাঠামো তৈরি করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটিতে সামাজিক ও গোষ্ঠীগত বাদবিসংবাদ চলছেই।মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, সেসব দেশের উচিত হবে জাতীয়, আঞ্চলিক ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নেতাদের রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার জায়গা করে দেওয়া। আর তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই দেশের সরকারগুলোকে অস্ত্রের প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে বৈধ ও নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতে না পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, লিবিয়ায় কার্যকর সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আন্তর্জাতিক সহায়তা লাগবে। এ লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আরব লিগ ও আফ্রিকান ইউনিয়নকে নিয়ে একটি যৌথ বাহিনী গড়ে তোলা যায়। একই সঙ্গে সীমান্ত নজরদারি ও সমুদ্রপথে আসা-যাওয়া নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আলজেরিয়া, মিসর ও তিউনিসিয়ার মধ্যে একটি বন্দোবস্ত করা যায়।ওদিকে মিসরেও মৌলিক সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার সংস্কৃতি নেই। ফলে ২০১১ সালে দেশটির কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ যে ভেঙে পড়ে, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। মিসরকে এখন মৌলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রসঙ্গে একটি বৃহৎ ও সংবিধানভিত্তিক মতৈক্য গড়ে তুলতে হবে। এটা করতে হলে সরকার ও নাগরিক সমাজের সব অংশীজনকে মতৈক্যে পৌঁছানোর অকৃত্রিম সদিচ্ছা দেখাতে হবে, যেটা সবার বৈধ চাহিদার বিষয়টি মাথায় রাখবে। ব্যাপারটা সহজ করার জন্য মিসরকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।অন্যদিকে সিরিয়ায় প্রকৃত অর্থেই মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দৃশ্যত, সেখানে সমাধানের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের জন্য পরীক্ষার ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারা আদৌ আপস ও মীমাংসা করতে পারে কি না। এই যুদ্ধ এত জটিল যে এখান থেকে কেউ পরিষ্কারভাবে বিজয়ী হতে পারবে না।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলো, যারা সেখানে লড়াই করছে, তারা কেউই এককভাবে শান্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে না। এটা ঠিক যে এই দেশটির রাজনৈতিক ভূগোল নতুন করে বিন্যাস করার ক্ষেত্রে এরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তা সে সামরিক বল প্রয়োগ, অবরোধ আরোপ বা রাজনৈতিক সবকের মাধ্যমে হোক। কিন্তু সিরিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে একাধিক কুশীলবের সহযোগিতা দরকার হবে।এই অঞ্চলে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা দৃশ্যমান। কারণ, এখানকার সমস্যা এত গভীর যে সাধারণ টোটকা দিয়ে এর সমাধান করা যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ যদি আপস করতে না শেখে, তাহলে এ অঞ্চলে কোনো দিনও গতিশীল ও শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে উঠবে না। তাদের মতৈক্যের ভিত্তিতে জাতি গঠন করতে শিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও ভূমিকা রয়েছে। তাদের ত্রিমুখী মনোভাব নিতে হবে। প্রথমত, তাদের মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করতে হবে, তাদের স্বনির্ভর করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ অঞ্চলের জাতি-রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তৃতীয়ত, সহিংসতার অবসান ঘটাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ ও নতুন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। রক্তপাত, বিভাজন ও আশাহীনতার মধ্যেই সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বীজ নিহিত রয়েছে। আমাদের সমাজ থেকে ধ্বংসাত্মক শক্তি দূর করতে হলে আরব সমাজ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে মতৈক্য সৃষ্টি, আপস-মীমাংসা ও সহযোগিতার রীতি চালু করতে হবে।অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট।নাবিল ফাহমি: মিসরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। | 261,192 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:২০ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৩৯ | বাংলা গান | null | বাবার সম্মানে হাবিবের গান | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1366141 | বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদের সম্মানে গান গাইবেন ছেলে জনপ্রিয় গায়ক ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ। ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরাই শুধু বাবা-ছেলের গান সামনাসামনি বসে উপভোগ করতে পারবেন। সিটি ব্যাংক আয়োজিত ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে গাইবেন তাঁরা দুজন।বাংলাদেশের গুণী সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদকে এবার সম্মাননা জানাতে যাচ্ছে সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশ। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে এই সম্মাননা জানানো হচ্ছে। ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে গুণী এই শিল্পীর হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে। ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে সেদিন সন্ধ্যায় ফেরদৌস ওয়াহিদের সম্মানে বাবার গাওয়া নিজের প্রিয় একটি গান গাইবেন ছেলে হাবিব ওয়াহিদ।৪২ বছর ধরে গান গাইছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। এই দীর্ঘ পথচলায় বড় ধরনের কোনো স্বীকৃতি না পাওয়ায় নিজের মধ্যে একধরনের ‘ছায়া দুঃখবোধ’ কাজ করেছে বলে অভিমত এই শিল্পীর। তাই সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশ থেকে পেতে যাওয়া এই সম্মাননা নিয়ে ভীষণভাবে খুশি ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘আমার সংগীতজীবনে প্রথম বড় কোনো স্বীকৃতি। আমি খুবই আনন্দিত। আমার এই আনন্দের দিনে ছেলে হাবিব গান গাইবে।’কোন গানটি গাইবেন জানতে চাইলে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘আমার গাওয়া গানগুলোর মধ্যে হাবিবের সবচেয়ে প্রিয় “আগে যদি জানতাম”। তাই বাবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাবিব গানটি গাইবে বলে ঠিক করেছে। আশা করছি, বাবা-ছেলের এক মঞ্চে গাওয়ার ব্যাপারটা বেশ উপভোগ্য হবে।’এদিকে বাবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার অনুভূতি জানতে হাবিব ওয়াহিদকে ফোন করে আর খুদে বার্তা পাঠিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশের আয়োজনে ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানের এটি ১৪তম আসর। ২০০৪ সালে নীলুফার ইয়াসমীনকে সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে এটি প্রবর্তিত হয়। গত বছর এ সম্মাননা জানানো হয় রুনা লায়লাকে। | 344,688 |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মার্চ ২০১৫, ১০:৪১ | ০৮ মার্চ ২০১৫, ১১:২০ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,দুর্ঘটনা,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | মেঘনায় নৌকাডুবিতে একজনের লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/471358 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ নিখোঁজ আছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন।আজ রোববার সকাল সাতটার দিকে আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।প্রশাসন ও যাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহনের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসনের ভাষ্য, আজ সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরব নৌকাঘাট থেকে ১০-১১ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। নৌকাটি আশুগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করে। সেখান থেকে আরও যাত্রী নৌকায় ওঠেন। এরপর নৌকাটি ছেড়ে যেতেই ঘাটের কাছে একপাশে হেলে ডুবে যায়।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে তারা উদ্ধারকাজ শুরু করে।আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দীপ কুমার সিংহ প্রথম আলোকে বলেন, নৌকাটিতে আগে থেকেই অতিরিক্ত মাল বোঝাই করা ছিল। আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে আরও যাত্রী তোলা হয়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ নিখোঁজ আছেন কি না, তা দেখা হচ্ছে। | 121,248 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:০৮ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:১০ | -1 | 0 | বাড়ছে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1093117 | নারীদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। এ কারণে মা ও শিশুর ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এটি ঠেকাতে গর্ভধারণ-পূর্ব ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সেবা নেওয়ার ওপর জোর দিতে হবে।রাজধানীর শাহবাগের বারডেম হাসপাতালের মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসব কথা বলেছেন। ডায়াবেটিক সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত গর্ভধারণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার’। দিবসটি উপলক্ষে ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে সকাল সাড়ে আটটায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে টিএসসি পর্যন্ত একটি পদযাত্রা বের হয়। একই সময়ে মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে থেকেও একটি পৃথক শোভাযাত্রা বের হয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবসে বিশেষ প্রকাশনা ‘কান্তি’ প্রকাশিত হয়েছে।অনুষ্ঠানের শুরুতে বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক নাজমুন নাহার বলেন, দেশে বর্তমানে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর হার বাড়ছে। তবে এর সংখ্যা কত, তা নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। অনুমান করা হয়, দেশে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ থেকে ১৪ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, যেসব নারীর গর্ভকালীন ডায়াবেটিস দেখা যায়, তাঁদের পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ। তাঁদের শিশুদেরও একই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বারডেমের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ফারুক পাঠান বলেন, বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। এর মধ্যে অর্ধেকই জানেন না যে তাঁদের ডায়াবেটিস রোগ আছে। ডায়াবেটিস হওয়াটা সমস্যা নয়। স্বাস্থ্যকর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে ভালো থাকা যায়। পরিকল্পিত গর্ভধারণে মা সুস্থ থাকলে বাচ্চাও সুস্থ থাকবে। শারীরিক পরিশ্রম, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গর্ভবতী মাকে গর্ভ-পূর্ব ও গর্ভকালীন সেবা দিতে হবে।অনুষ্ঠান থেকে ১০ জন ‘আদর্শ ডায়াবেটিক রোগী’কে অভিনন্দনপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এই ১০ জনের একজন প্রীতিকণা হালদার। তাঁর ৪১ বছর আগে টাইপ-১ ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নিয়মিত খাবার, ব্যায়াম ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে তিনি ৪১ বছর ধরেই তিনি সুস্থ আছেন।আলোচনায় ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক এ আর খান, মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন। | 297,820 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৫৯ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০১ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,অপরাধ | null | দুটি পরিবার ও ভারতীয় পর্যটকের মালামাল গায়েব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/414484 | কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ভারতীয় পর্যটক ও দুই পরিবারের পাঁচ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সৌদিয়া পরিবহনে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে গাড়িচালক ও দুই সহকারীকে আটক করে নগরের খুলশী থানা পুলিশ। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মালামাল উদ্ধার হয়নি।বাসযাত্রী ও কলেজশিক্ষক নির্মল দত্ত প্রথম আলোকে জানান, তিনিসহ ভারতীয় নাগরিক রাজ বসু, তাঁর বোন সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রিক্তা দত্তের পরিবার কক্সবাজার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসে রওনা হয়ে রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া বাস কাউন্টারে এসে পৌঁছান। তাঁরা সবাই একে অপরের আত্মীয়। কিন্তু বাস থেকে নামার পর তাঁদের মালামাল ভর্তি লাগেজ পাঁচটি পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। লাগেজগুলো বাসে তোলার সময় টোকেন চাইলেও সহকারীরা দেননি।নির্মল দত্ত আরও জানান, লাগেজগুলোতে ৭৮০ ডলার, নগদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, কাপড়চোপড়সহ পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিল। বাস থেকে নামার পর লাগেজগুলো ফেরত চাইলে চালক ও সহকারীরা এগুলোর খোঁজ দিতে পারেননি। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নগরের দামপাড়া সৌদিয়া কাউন্টারের কর্মরতদের জানানো হয়। পরে গতকাল শুক্রবার সকালে নির্মল দত্ত বাদী হয়ে খুলশী থানায় একটি জিডি করেন।নগরের খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোলায়মান বলেন, এ ঘটনায় চালক ও দুই সহকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশের অভিযান চলছে।সৌদিয়া পরিবহনের চট্টগ্রামের ইনচার্জ মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘ভুলে অন্য কোনো যাত্রীকে ওই মালামাল দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি।’তবে রাত সাড়ে আটটার দিকে এসআই সোলায়মান জানান, গতকাল সন্ধ্যায় এক বৈঠক শেষে সোহাগ পরিবহনের পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। | 103,776 |
আশরাফুল ইসলাম | economy | অর্থনীতি | ১৮ জুন ২০১৬, ০০:১৯ | ১৮ জুন ২০১৬, ০০:২১ | বাণিজ্য | 0 | লিংকডইনের ভবিষ্যৎ কোন পথে? | http://www.prothom-alo.com/economy/article/891271 | সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বহুজাতিক মার্কিন কোম্পানি মাইক্রোসফটের সফলতার কথা সবারই জানা। কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসায় সফল হলেও একটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য বলতে গেলে শূন্য। ব্যর্থতার সেই জায়গাটি হলো বিভিন্ন কোম্পানির অধিগ্রহণ। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ছোট-বড় যত কোম্পানি অধিগ্রহণের মাধ্যমে কিনে নিয়েছে, কোনোটি থেকেই বলার মতো সাফল্য আসেনি।মাইক্রোসফটের অধিগ্রহণ নিয়ে এত কথার কারণ, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি পেশাজীবীদের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনকে ২ হাজার ৬২০ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনে নিয়েছে। এটি মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ। বিশাল অঙ্কের এই অর্থ খরচ করে লিংকডইনকে কেনার ফলাফল প্রতিষ্ঠানটির জন্য কেমন হবে, সেটি নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। তবে ইতিহাস বলছে, এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বড় বড় যেসব অধিগ্রহণ করেছে, সেগুলো খরচের খাতায় জায়গা করে নিয়েছে।লিংকডইনের আগ পর্যন্ত স্কাইপকে কিনে নেওয়া ছিল মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ। ২০১১ সালে ভিডিও কল ও চ্যাট করার জন্য জনপ্রিয় এই অ্যাপ্লিকেশনটি কিনতে প্রতিষ্ঠানটির খরচ হয়েছিল ৮৫০ কোটি ডলার। মাইক্রোসফটের এই অধিগ্রহণের উদ্দেশ্য ছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করা। তবে মাইক্রোসফটের অধীনে আসার পর স্কাইপের ব্যবসা উল্টো দিকে চলতে শুরু করে। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো কয়েকটি অ্যাপের চাপে এখন আর আগের শক্তিশালী অবস্থানে নেই স্কাইপ।স্কাইপকে কেনার ফলাফল তুলে ধরে চার্লস আর্থার নামের এক বাজার গবেষক বলেন, স্কাইপকে যখন মাইক্রোসফট কিনে নেয় তখনই মনে হয়েছিল যে বাজি তারা ধরেছে, সেটিতে জেতার সম্ভাবনা শূন্য। এত দিন পরে আমার সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। স্কাইপকে কেনার ফলাফল হলো, মাইক্রোসফটের ব্যাংক হিসাব থেকে স্রেফ ৮৫০ কোটি ডলার কমে গেছে।টাকার অঙ্কে তৃতীয় হলেও এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফটের যে অধিগ্রহণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, সেটি হলো নকিয়ার মুঠোফোন উৎপাদন ইউনিট কিনে নেওয়া। মুঠোফোনের বাজারে একসময় শীর্ষ স্থানে থাকা নকিয়াকে ২০১৩ সালে কিনতে মাইক্রোসফট খরচ করেছিল ৭৬০ কোটি ডলার। এই অধিগ্রহণের উদ্দেশ্য ছিল, ফোনের বাজারে নকিয়ার হারানো ভাবমূর্তি উদ্ধারের পাশাপাশি এ ব্যবসায় মাইক্রোসফটের অবস্থান শক্তিশালী করা।তবে দুটি উদ্দেশ্যের কোনোটিই সফল হয়নি। নকিয়া ব্র্যান্ড ব্যবহার না করে নিজস্ব ব্র্যান্ড ও অপারেটিং ব্যবস্থাপনায় মুঠোফোন বাজারজাত করার ফলাফল হয় উল্টো। অধিগ্রহণের আগে নকিয়ার বাজারে যে অবস্থান ছিল, সেটি গত তিন বছরে আরও কমে গেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি ৩৫ কোটি ডলারে নকিয়ার ফিচার ফোন ইউনিট বিক্রি করে দিয়েছে মাইক্রোসফট। নকিয়াকে কেনার সিদ্ধান্ত যে খুব বড় ভুল ছিল, সেটি স্বীকার করে এর পেছনে যে অর্থ মাইক্রোসফট খরচ করেছে সেটিকে তারা তাদের ব্যালেন্স শিট থেকে অবলোপন করে রেখেছে। অর্থাৎ পুরো টাকাটাই যে জলে গেছে, সেটিই এর মাধ্যমে স্বীকার করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নকিয়াকে অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তটিকে মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বলমারের কর্মজীবনের অন্যতম বড় ভুল মনে করা হয়।মাইক্রোসফটের অধিগ্রহণ ব্যর্থতার আরেকটি বড় উদাহরণ হলো একোয়ান্টিভ। গুগলের অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবসায় ভাগ বসানোর লক্ষ্যে ২০০৭ সালে ৬৩০ কোটি ডলার দিয়ে মাইক্রোসফট কিনে নেয় একোয়ান্টিভকে। তবে কেনার পর থেকেই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির। অবশেষে পাঁচ বছর পর ২০১২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিও মাইক্রোসফটের খরচের খাতায় চলে যায়। একোয়ান্টিভের অবলোপন মূল্য ছিল ৬২০ কোটি ডলার।ব্যর্থতার ইতিহাস এখানেই শেষ নয়। ২০১৪ সালে সুইডেনের ভিডিও গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মোজ্যাং কিনতে মাইক্রোসফট খরচ করে ২৫০ কোটি ডলার। এ ছাড়া ভিসিও কর্প, নাভিসনের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কিনতে মাইক্রোসফট ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ করলেও সেগুলো থেকে তেমন সাফল্য আসেনি।২০১৪ সালে স্টিভ বলমারের কাছ থেকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর সত্য নাদেলার অধীনে মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ হলো লিংকডইন। গুগল ও ফেসবুকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে কেনা হলেও গত কয়েক বছর ধরে লিংকডইনেরই অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। বর্তমানে ৪০ কোটির মতো ব্যবহারকারী থাকলেও প্রতি মাসে লিংকডইনের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ২৫ শতাংশ। ফেসবুক ও টুইটার আসার আগেই ২০০২ সালে লিংকডইন যাত্রা শুরু করে। মাইক্রোসফটকে বদলে দিতে লিংকডইনকে কেনার কথা বলা হলেও এ উদ্যোগ কতটা সফল হবে, সেটি নিয়ে বাজার বিশ্লেষকেরা খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না।ব্লুমবার্গ, গার্ডিয়ান, ইকোনমিক টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে | 233,398 |
প্রতিনিধি, বেড়া, পাবনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৯ | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৭ | নির্বাচন,রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,পাবনা,বিএনপি,আওয়ামী লীগ | null | ভোটের মাঠ ফাঁকা রেখে ঢাকায় তাঁরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1566511 | ৮ নভেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এর পর থেকে ১৫ দিন ধরে পাবনা-১ ও পাবনা-২ আসনে ভোটের মাঠ পুরোপুরি ফাঁকা পড়ে আছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ঢাকায় দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য হত্যে দিয়ে পড়ে থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে মনানয়ন জোটে, তা নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছেন নির্বাচনী এলাকায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সমর্থকেরা।পাবনা-১ আসনটি সাঁথিয়া উপজেলার পুরোটা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আর পাবনা-২ আসনটি সুজানগর উপজেলার পুরো অংশ এবং বেড়া উপজেলার বাকি পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন মোট ছয়জন। তবে তাঁদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এবং সাবেক সাংসদ ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ। অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কমপক্ষে আটজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় নেতা ইউনুছ আলী, সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইছেন অন্তত ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন বর্তমান সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক আরজু, কৃষক লীগের নেতা মির্জা আবদুল জলিল, সাবেক সচিব মুজিবর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ কবির, শফিউল আলম বাদশা, জাহাঙ্গীর কবীর প্রমুখ। তবে তাঁদের মধ্যে বেশি আলোচনা চলছে আজিজুল হক আরজু ও ফিরোজ কবিরকে নিয়ে। অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন। তাঁদের মধ্যে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক সাংসদ সেলিম রেজা হাবিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান জাফির তুহিন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই পাবনা-১ ও পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সমর্থকদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেই থেকে তাঁরা এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন।এদিকে দুই দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্তও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দুই আসনের কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশীই নিশ্চিত হতে পারেননি। এই অবস্থায় মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কর্মী-সমর্থকেরা সময় কাটাচ্ছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। ঢাকায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী শামসুল হক ও আবু সাইয়িদের সঙ্গে আলাদাভাবে মুঠোফোনে কথা হলে তাঁরা জানান, দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে নেত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। তিনি (নেত্রী) যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা–ই তাঁরা মেনে নেবেন।অন্যদিকে পাবনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ইউনুছ আলী জানান, ঢাকায় থেকে তিনি দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে তাঁর দৃঢ়বিশ্বাস।তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি দুই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাই ঢাকায় ।এদিকে পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেই চলছে উত্তেজনা ও উন্মাদনা। তফসিল ঘোষণার আগে এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কর্মী-সমর্থকেরা সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগে নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে রাখলেও এখন তাঁরা একেবারেই চুপচাপ। চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে তাঁরা অপেক্ষা করছেন দলীয় মনোনয়ন কার ভাগ্যে জোটে তা দেখার জন্য।এই আসনে আওয়ামী লীগের খন্দকার আজিজুল হক আরজু ও ফিরোজ কবির এবং বিএনপির হাসান জাফির তুহিন ও সেলিম রেজা হাবিবের সমর্থকদের মধ্যেই উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি।বর্তমান সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক বলেন, ‘তৃণমূল আমার পক্ষে, জনগণ আমার পক্ষে। এলাকার আমি যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি। কাজেই মনোনয়ন আমি পাব বলে আশা করছি। আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হলে তা হবে আমার জন্য অবিচার।’বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান জাফিরের সমর্থক জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম তৌফিক হাসান বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আমরা ঢাকায়। আশা করছি কেন্দ্র থেকে হাসান জাফিরের পক্ষেই মনোনয়ন নিয়ে আমরা এলাকায় ফিরতে পারব।’ | 383,390 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ জুন ২০১৬, ১৩:১৯ | ১৪ জুন ২০১৬, ১৩:২০ | অপরাধ | null | দেড় কেজি সোনাসহ বিমানযাত্রী আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/887731 | হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড় কেজি সোনাসহ বাংলাদেশ বিমানের এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নাম রিপন রেজা (৪১)। বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলায়।আজ মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরের ক্যানপি-২ এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৮৭ নম্বর ফ্লাইটে করে আজ ভোরে ঢাকায় আসেন রিপন রেজা। বিমানবন্দরের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে সকাল সাতটার দিকে ক্যানপি-২ এলাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা মালামাল তল্লাশি করা হয়। তবে রিপন রেজা তাঁর সঙ্গে থাকা ট্রলির ওপরের অংশে স্কচটেপ দিয়ে একটি প্যাকেট লুকিয়ে রেখেছিলেন। প্যাকেটটির ভেতর সোনার ছয়টি টুকরা পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বড় একটি সোনার বার কেটে কয়েক টুকরো করা হয়। ছয়টি সোনার টুকরার ওজন ১ কেজি ৫০০ গ্রাম। উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হবে। | 231,972 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩৬ | ০৮ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩৭ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,আইন ও বিচার | 0 | একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1281356 | নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যা মামলার রায়ে একমাত্র আসামি মাহফুজকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আকতার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।আদালত রায়ে তাসলিমা বেগমকে (৪০) হত্যার দায়ে মাহফুজকে রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। তাসলিমার ছেলে শান্ত (১০) ও মেয়ে সুমাইয়া (৫), ভাই মোশাররফ হোসেন (২৫) ও জা লামিয়াকে (২৫) হত্যার দায়েও আলাদাভাবে মাহফুজকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ওয়াজেদ আলী। মাহফুজ মামলার বাদী নিহত তাসলিমা বেগমের স্বামী শফিকুল ইসলামের ভাগনে।ওয়াজেদ আলী বলেন, আসামি মাহফুজের সঙ্গে তাঁর ছোট মামি লামিয়ার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এ কারণে শফিকুল রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বস্তি ছেড়ে নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইলে চলে আসেন। মাহফুজও নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন। ঘটনার রাতে মাহফুজ তাঁর বড় মামি তাসলিমার বাড়িতে খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন। তাসলিমার ভাই মোশাররফ বিষয়টি টের পেয়ে মাহফুজকে বের করে এনে তাঁর সঙ্গে খাটে শোয়ান। মাহফুজ ঘরে থাকা শিল দিয়ে আঘাত করে এবং ওড়না ও শার্ট গলায় পেঁচিয়ে একে একে পাঁচজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।রায় ঘোষণাকালে মাহফুজকে নির্লিপ্ত দেখা গেছে। পিপি বলেন, এই মামলায় মোট ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাদীসহ ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় বাদী শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায়ে আমরা খুশি। আমরা চাই দ্রুত যেন এই রায় কার্যকর করা হয়।’নিহত তাসলিমা বেগমের মা মোর্শেদা বেগম বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত ওর (মাহফুজ) ফাঁসি হোক। আমার সব শেষ করে দিয়েছে।’আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. সুলতানুজ্জামান বলেন, আসামিপক্ষ মনে করে, এ রায়ে তিনি অসন্তুষ্ট।২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে বাবুরাইলের একটি বাসায় একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যা করা হয়। বাসার দরজার তালা ভেঙে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাসলিমার স্বামী বাদী হয়ে ভাগনে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের ঋণদাতা নাজমা ও শাহজাহানকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। লাশ উদ্ধারের পরদিন গ্রেপ্তার করা হয় মাহফুজকে। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মাহফুজের বিরুদ্ধে ও অন্যদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। | 331,409 |
আনন্দ প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১৯ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২২ | আলাপন,আনন্দ | null | নানু মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছেন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/424639 | রিচি সোলায়মান। নিয়মিত অভিনয় করছেন। গড়েছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। গত রোববার দুপুরে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।কেমন আছেন?ভালো।কী করছেন?নানু মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছেন। আমার বাসা উত্তরায়। বিশ্ব ইজতেমা। রাস্তায় খুব ভিড়। বের হওয়ার উপায় নেই। বাসায়ই আছি। নানু এসেছেন। সুযোগ পেয়ে তাঁর সামনে বসে পড়েছি।কোনো কাজ নেই?না। ছুটি।কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে দেখলাম আপনি একটি বিজ্ঞপনচিত্রে কাজ করছেন।গতকাল (শনিবার) করেছি। আজ ফেসবুকে ছবি দিয়েছি। খাবারের বিজ্ঞাপন। নতুন পণ্য। সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখানো হবে।খাবারের বিজ্ঞাপন। আপনি নিজে খেয়েছেন?হ্যাঁ, স্বাদ ভালো। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাকে যাঁরা পছন্দ করেন, ভালোবাসেন, কিংবা যাঁরা আমার দর্শক, তাঁরা কিন্তু পণ্যটির ব্যাপারে আগ্রহী হবেন। তাই এদিকে আমি খেয়াল রেখেছি।আপনি তো দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। কবে ফিরলেন?গত নভেম্বর মাসে।কোথায় কোথায় ঘুরেছেন?লন্ডন ছিলাম ১৫ দিন আর নিউইয়র্কে দুই মাস। অনেক জায়গায় ঘুরেছি।আপনার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নীলাঞ্জনার খবর কী?নাটক তৈরি করছি। সম্প্রতি বাংলাভিশনে আমার প্রতিষ্ঠানের তৈরি গপ্পো ধারাবাহিকটির প্রচার শেষ হয়েছে। শিগগিরই আরও তিনটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু হবে। এর মধ্যে দুটির পরিচালক চূড়ান্ত হয়েছে, রুলিন রহমান আর রহমতউল্লাহ তুহিন। তৃতীয়টির ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে।আর অভিনয়?সাগর জাহানের পরিচালনায় মিলার বারান্দা ধারাবাহিকে আমি মিলার চরিত্রে অভিনয় করছি। পাশাপাশি সোহরাব হোসেন দোদুলের পরিচালনায় পাল্টা হাওয়া ধারাবাহিকেও কাজ করছি।এক ঘণ্টার নাটক?এরই মধ্যে অনেকগুলো নাটকের কাজ করেছি। সব কটি নাটকের নাম লিখলে এই সাক্ষাৎকারের পরিধি বড় হয়ে যাবে।বলেন কী!হ্যাঁ, দেশে ফেরার পর তো নিয়মিত কাজ করছি। বেশির ভাগই ঈদে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখানো হবে।আমাদের টিভি নাটকের দর্শক এখন নেই বললেই চলে।অবস্থা খারাপ অবশ্যই, তবে এতটা খারাপ তা বলব না। দেখুন, ভালো কাজ কিন্তু হচ্ছে। সংখ্যায় এগুলো কম। খারাপের ভিড়ে কেউ এগুলোর ব্যাপারে জানতেই পারছে না। নাটকের মান পড়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ। বড় কারণ বিজ্ঞাপনের আধিক্য। এখন নাটকের মাঝে কেউ বিজ্ঞাপন দেখে না, বিজ্ঞাপনের মাঝে নাটক দেখে। চ্যানেলগুলোকে দোষ দিয়ে কী লাভ? চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের রেট অনেক কমে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে। আমাদের নাটককে আবার দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয় করতে এখনই সবাইকে একজোট হয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। নাটকের একটি কমন নীতিমালা তৈরি করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, সব মহলের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে আমাদের নাটকের ভালো সময় অবশ্যই ফিরে আসবে।১০ মিনিট শেষ। আপনাকে ধন্যবাদ।আপনাকেও ধন্যবাদ। | 106,871 |
মহিউদ্দিন আহামেদ | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৫ আগস্ট ২০১৬, ০০:২৭ | ২৫ আগস্ট ২০১৬, ০০:৩১ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,মোবাইল ফোন | 0 | নতুন অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সুবিধা | http://www.prothom-alo.com/technology/article/956623 | অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণ ন্যুগাটের পূর্ণ সংস্করণ ছাড়া হয়েছে ২২ আগস্ট। প্রথমে নেক্সাস স্মার্টফোনগুলোতে এই সুবিধ পাওয়া যাবে। অন্যান্য ফোনে ন্যুগাট পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন এই সংস্করণে নতুন সুবিধাগুলো একনজরে এখানে উল্লেখ করা হলো।একাধিক উইন্ডো: একসঙ্গে খোলা যাবে একাধিক উইন্ডো। ফোনের পর্দায় পছন্দ অনুযায়ী ছোট-বড় করা যাবে উইন্ডোগুলোকে।কমাবে ডেটা খরচ: অপ্রয়োজনীয় ডেটা খরচ কমাতে ন্যুগাটে নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।স্বল্প জায়গায় ইনস্টল: ন্যুগাটে আগের অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় ৭৫ শতাংশ দ্রুত অ্যাপ ইনস্টল হবে আর ৫০ শতাংশ জায়গা বাঁচাবে।নোটিফিকেশন: নোটিফিকেশন প্যানেল থেকেই সরাসরি কাজ সারা যাবে, দেওয়া যাবে খুদে বার্তার উত্তর।মেন্যু ক্লিনার: দীর্ঘ সময় অব্যবহৃত অ্যাপগুলো রিসেন্ট তালিকা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।কি-বোর্ড থিম: থাকছে ১৬টি নতুন নকশার কি-বোর্ড থিম।ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটি: ন্যুগাটেই প্রথম ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটি সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড ডটকম | 253,356 |
কৌশিক আহমেদ | life-style | জীবনযাপন | ১০ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:২৭ | ১০ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৩১ | -1 | null | পল্টারিং: সত্য যখন মিথ্যার সমতুল্য | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1405421 | সুজন এমনিতে ছাত্র ভালো। ইশকুলে নিয়মিত যায়। ক্লাস কামাই দেয় না। মাঝেমধ্যে টুকটাক মিথ্যে বলে এই যা। ঠিক মিথ্যাও নয়; একটু কায়দা করে সত্যটা আড়াল করে। কোনো দিন হয়তো মা বললেন, ‘কি রে হোমওয়ার্ক করেছিস?’ সে হয়তো বলে, ‘ইংরেজি ক্লাসের জন্য শেক্সপিয়ারের ওপর একটি রচনা লিখেছি।’ সুজন মিথ্যা বলেনি। কিন্তু সে হোমওয়ার্ক করেছে কি না, এটা তার উত্তর নয়। রচনাটি সুজন অনেক দিন আগেও লিখে থাকতে পারে। সে সত্য দিয়ে তার মাকে মিথ্যা বার্তা দিয়েছে। সে হয়তো হোমওয়ার্ক শুরুই করেনি।বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল খুদে বার্তা দেখে কোনো মোবাইল ফোন অপারেটরের কোনো অফার গ্রহণ করার পর দেখা গেল আগের কলরেট সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে। অফারটি নিলে যে আগের প্যাকেজের সুবিধা থাকবে না—এমন তথ্য জানানো হয় না। আর বিজ্ঞাপনে শর্ত প্রযোজ্যে কখনো বা উল্লেখ করা হলেও শর্তগুলো জানতে চোখের সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হয়। এই কৌশলে ভোক্তাদের কাছে যেভাবে মিথ্যা বার্তা যায়, তা মহাভারতের ‘অশ্বত্থামা হতঃ-ইতি গজ’ বাক্যটির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ইতি গজ শব্দটি আস্তে বলায় দ্রোণাচার্য ভেবে বসেন, তাঁর ছেলে অশ্বত্থামার মৃত্যু হয়েছে, হাতির নয়।রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শো রুমে গেলে বিক্রেতা বিক্রির জন্য তাঁর গাড়ির ভালো দিকগুলোর বিস্তারিত বয়ান দেবেন। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগেই গাড়িটি যে বিকল হয়ে গিয়েছিল—সেই তথ্য তিনি চেপে যাবেন। গাড়ির ভালো দিকগুলো নিয়ে তিনি যা বলছেন তা হয়তো সত্য। কিন্তু এই সত্য দিয়েই তিনি আরেক সত্যকে (গাড়ি বিকল হওয়ার কথা) আড়াল করে আপনাকে মিথ্যা বার্তা দেন।প্রাত্যহিক জীবনে ‘সত্য’ বলার মধ্য দিয়ে ভুল পথে চালিত করার এই কৌশল প্রকট হয়ে উঠেছে। এই কায়দাটি সম্প্রতি ‘পল্টারিং’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। ‘পল্টারিং’ নামের এই কূটকৌশল সমাজে এতটাই ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে যে সত্য-মিথ্যার সীমারেখায় আমাদের গভীর দৃষ্টি দিতে হচ্ছে। ব্যক্তিপর্যায়ের ক্ষুদ্র স্বার্থ থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা খাত, কূটনীতি থেকে শুরু করে রাজনীতি ময়দান—সর্বত্রই চলছে এই কৌশল। সাম্রাজ্যবাদীরা লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি ও ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তারা দুজনের খারাপ দিকগুলোকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছে ঢালাওভাবে। কিন্তু তাঁদের শাসনামলের ভালো দিকগুলো চেপে গেছে কৌশলে। দুজনের খারাপ দিকগুলো হয়তো সত্য। কিন্তু সেটাই চূড়ান্ত বাস্তবতা নয়। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে আটক হওয়া ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইএ কর্মকর্তা জন নিক্সন। ২০১৬ সালে নিক্সন তাঁর প্রকাশিত বই ‘ডিব্রিফিং দ্য প্রেসিডেন্ট: দ্য ইন্টারোগেশন অব সাদ্দাম হোসেন’-এ মত প্রকাশ করে বলেছেন, সাদ্দামকে ইরাক শাসন করতে দেওয়া উচিত ছিল। বহু জাতি-গোষ্ঠীর দেশ ইরাক পরিচালনা এবং সুন্নি উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁর মতো একজন কঠোর শাসকের প্রয়োজন ছিল। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মিথ্যার মধ্য দিয়ে মানুষ লাভবান হতে চায়। কিন্তু সোজাসাপটা মিথ্যা বলে মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিত হতে চায় না। সে মিথ্যাটাকে কায়দা করে এড়িয়ে গিয়ে নীতিমান ও সৎ বলে পরিচিত থাকতে চায়। আর এ কারণেই পল্টারিংয়ের আশ্রয় নেয়। তবে শেষ বিচারে সে সফল হতে পারে না। পল্টারিংকে শেষ পর্যন্ত মানুষ মিথ্যা বলেই সাব্যস্ত করে। এই কৌশল সমাজে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা অতি পুরোনো প্রবণতা। নৈতিক দিক থেকে এই প্রবণতাকে সমর্থন করা যায় না। এ ধরনের প্রবণতাকে অনেক সময় ‘রবিনহুড মর্যালিটি’ বলা হয়ে থাকে। রবিনহুড দরিদ্রদের সহায়তা করার মধ্য দিয়ে ডাকাতিকে ন্যায়সংগত মনে করতেন।বিবিসির এক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বিতর্ক চলাকালে রাজনীতিকেরা সত্য বলার মধ্য দিয়ে কীভাবে কোনো প্রশ্নকে ধোঁকা দিয়ে এড়িয়ে যান, তা দেখার চেষ্টা করেছেন গবেষক ও হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের আচরণগত বিজ্ঞানী টোড রোজার্স এবং তাঁর সহকর্মীরা। রোজার্স বলেন, রাজনীতিকেরা প্রায়ই এটা করে থাকেন। তাই তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। তিনি দেখেছেন, যেকোনো আলোচনায় পল্টারিং অত্যন্ত সাধারণ কৌশল। তাঁর গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ১৮৪ জন নির্বাহীর মধ্যে অর্ধেকই স্বীকার করেন, তাঁরা ওই কৌশল অবলম্বন করেন। গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা পল্টারিং করেন, তাঁরা মনে করেন, এই কৌশল অবলম্বন করাটা সোজাসাপটা মিথ্যা বলার চেয়ে কিছুটা নৈতিক। যদিও প্রতারিত ব্যক্তিরা মিথ্যা ও পল্টারিংয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেন না।সত্য তথ্য দিয়ে যখন কোনো বাস্তবতাকে আড়াল করা হয়, তখন শ্রোতাদের পক্ষে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ভোটার হওয়ার বয়স কমাতে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি যে প্রচারণা চালিয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, ‘আপনার বয়স যদি হয় ১৬, তবে আপনি বিয়ে করতে পারেন; সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারেন এবং পূর্ণকালীন চাকরিও করতে পারেন।’ অর্থাৎ ১৬ বছরে আপনি এত কিছু করতে পারলেও কেন ভোটার হতে পারবেন না—দলটি তাদের প্রচারণায় এই যুক্তি তুলে ধরে। কিন্তু বিবিসির বস্তুনিষ্ঠতা পরীক্ষাকারী দল দেখেছে যে ওই প্রচারণায় পূর্ণ সত্য তুলে ধরা হয়নি। দলটি বলেছে, ‘১৬ বা ১৭ বছর বয়সে আপনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারেন, তবে তা বাবা-মায়ের অনুমোদন সাপেক্ষে। স্কটল্যান্ডে ওই বয়সে বিয়ে করতে হলে বাবা-মায়ের অনুমোদন প্রয়োজন। আর যুক্তরাজ্যে ২০১৩ সাল থেকে ১৬ বা ১৭ বছরে কেউ পূর্ণকালীন কাজ করতে পারে না।’ এখানে স্পষ্টতই বাবা-মায়ের অনুমতির শর্তটিকে কৌশলে ঢেকে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে সত্য দিয়ে বাস্তবতাকে এড়িয়েছিলেন বা মিথ্যা বলেছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাঁর হাউজিং কোম্পানিতে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ উঠেছিল। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর কোম্পানি ‘অপরাধ স্বীকার’ করেনি। নিউইয়র্ক টাইমস তদন্ত করে দেখেছিল, ট্রাম্পের কোম্পানিতে বর্ণবৈষম্য ছিল। আর এটা স্বীকার না করে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর কোম্পানি অপরাধ স্বীকার করেনি। মানে তিনি সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেননি। পল্টারিং করেছেন। আবার সোজাসাপটা মিথ্যাকে আমরা তাঁকে যেভাবে চ্যালেঞ্জ করতে পারি; পল্টারিং বুঝে ফেললেও সামাজিক ভদ্রতার কারণে আমরা একে সেভাবে চ্যালেঞ্জ করতে পারি না। যুক্তরাজ্যের রাজনীতিক মাইকেল হাওয়ার্ডের এক ‘কুখ্যাত’ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন বিবিসির সাংবাদিক জেরেমি প্যাক্সম্যান ওই সাক্ষাৎকারে মাইকেল হাওয়ার্ডকে বারবার প্রশ্ন করেন, তিনি তৎকালীন প্রিজনস গভর্নরের ওপর ক্ষমতার প্রভাব খাটানোর হুমকি দিয়েছেন কি না? বারবার অন্য সত্য ঘটনা তুলে ধরার মধ্য দিয়ে ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যান হাওয়ার্ড। এটি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। আর কেউ যখন এভাবে কোনো কিছু আড়াল করতে চান, তখন তা চ্যালেঞ্জ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। রাজনীতিতে এ ধরনের ঘটনা যেমন সচরাচর ঘটে, তেমনি প্রাত্যহিক জীবনেও ঘটে।রোজার্স মনে করেন, এর কারণ ‘আমরা আমাদের সংকীর্ণ লক্ষ্য অর্জন করতে চাই, আবার একই সঙ্গে আমরা এটাও চাই যে মানুষ আমাদের নীতিমান ও সৎ বলে বিবেচনা করুক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছি, পল্টারিং যাঁরা করেন, তাঁরা ভুল করেন। এ ধরনের চিন্তার সমস্যা গোটা সমাজের ওপরে প্রভাব ফেলে। এই পল্টারিংয়ের কারণেই জনগণ রাজনীতিকদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন।’ ২০১৬ সালে এক জরিপে দেখা গেছে, রিয়েল স্টেট এজেন্টস, ব্যাংকার এবং সাংবাদিকদের চেয়ে রাজনীতিকদের প্রতি যুক্তরাজ্যের জনগণের বিশ্বাস কম।রাজনীতিকেরা পল্টারিংয়ের মাধ্যমে যখন মিথ্যা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ধরা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এর পরেও পল্টারিং নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ানোর কারণে বর্তমান যুগে আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে মিথ্যাই বেশি প্রত্যাশা করি।‘দ্য লায়ার ইন ইয়োর লাইফ’ গ্রন্থের রচয়িতা মনস্তাত্ত্বিক রবার্ট ফেল্ডম্যান মনে করেন, পল্টারিং ব্যক্তি ও জাতীয় উভয় পরিসরেই দুশ্চিন্তার কারণ। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা যখন আমাদের কাছে মিথ্যা বলেন, তখন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। এটা অনৈতিক এবং এটা আমাদের গণতন্ত্রকে নিকৃষ্টতম করে তুলছে।’সত্যের চেয়ে মিথ্যা বলার জন্য অনেক বেশি মানসিক প্রচেষ্টা খরচ করতে হয়। এ সত্ত্বেও আমরা মিথ্যা বলি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একদা বলেছিলেন, ‘সফল মিথ্যুক হওয়ার জন্য কারোরই পর্যাপ্ত স্মরণশক্তি নেই।’ ১৯৯৬ সালে গবেষক বেলা ডেপাওলো দেখেন, আমরা প্রত্যেকেই দিনে একটি বা দুটি মিথ্যা বলি। ভালো উদ্দেশ্য নিয়েও আমরা মিথ্যা বলি।দুর্ভাগ্যবশত আমরা যে প্রক্রিয়ায় বেড়ে উঠি, সেখান থেকেই মিথ্যাচারের প্রবণতা তৈরি হয়। ছোটবেলা থেকেই আমাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় মিথ্যাচার একটি ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকেই আমরা ‘নিষ্পাপ মিথ্যা’ বলে থাকি। যেমন কাউকে ভালো না দেখালেও বলি ভালো দেখাচ্ছে। আবার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেও স্বামী তার স্ত্রীর কাছে বা স্ত্রী তার স্বামীর কাছে মিথ্যা বলে থাকেন। আমরা শিশুদের রূপকথার অলীক গল্প শোনাই। ফেল্ডম্যান মনে করেন, ‘আমরা আমাদের শিশুদের মিশ্র বার্তা দিই। সততাই উৎকৃষ্ট পন্থা—শিশুরা এই শিক্ষা পেলেও তারা এটাও শেখে যে কখনো কখনো মিথ্যা বলা ভালো ও বাঞ্ছনীয়।’জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ হেলাল বলেন, মহাভারতের যুধিষ্ঠিরের উচ্চারণ করা বাক্য ‘অশ্বত্থামা হতঃ-ইতি গজ’ এটাই প্রমাণ করে যে পৌরাণিক যুগ থেকেই মানুষের মধ্যে কৌশলে মিথ্যা বলার প্রবণতা ছিল। রাজ্য জয়, ব্যক্তিকে জয় করা থেকে শুরু করে প্রাপ্তির জন্য মানুষ সত্যকে আড়াল করে মিথ্যা বলে আসছে। এই প্রবণতা অতি পুরোনো। নৈতিক দিক থেকে এই প্রবণতাকে সমর্থন করা যায় না।আহমেদ হেলাল বলেন, কয়েকটি পর্যায়ে শিশুর নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটে। এই পর্যায়গুলোতে চারপাশ থেকে পর্যবেক্ষণমূলক শিক্ষার মাধ্যমে শিশু বুঝতে পারে, মিথ্যা বলে মানুষ লাভবান হচ্ছে। একপর্যায়ে মানুষ নৈতিকতাকে নিজের সুবিধামতো সংজ্ঞায়িত করে। এটাকে অনেক সময় ‘রবিনহুড মর্যালিটি’ বলা হয়ে থাকে। রবিনহুড ডাকাতি করতেন এবং অর্থ দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি সেটাকে ন্যায়সংগত ভাবতেন। নৈতিকতার মানদণ্ডে রবিনহুডের কাজগুলোকে সমর্থন করা যায় না। ঠিক তেমনি কোনো ভালো উদ্দেশ্য হলেও কোনো মিথ্যাকে নৈতিকতার মানদণ্ডে সমর্থন করা যায় না। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বা দেশের প্রেক্ষাপট সব জায়গাতেই আমরা যদি পারিবারিক পর্যায়ে সত্যের চর্চা থেকে পিছিয়ে থাকি, তবে শিশুরা মিথ্যা বা পল্টারিংয়ের মাধ্যমে যেকোনো প্রাপ্তিকে নিশ্চিত করতে চাইবে। সবার আগে উচিত পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনে মিথ্যাকে পরিহার করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক নাজমুল হক বলেন, শৈশবকাল থেকেই শিশুদের স্পষ্ট করে কথা বলতে শেখানো উচিত। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সময় অপ্রিয় সত্য বলার জন্য শিশুদের শাস্তি দিই। শিশুদের সত্য কথনকে কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা অপমান না করি, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অপ্রিয় সত্য বলে যদি শিশু শাস্তি পায়, তবে তার জীবনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং সে মিথ্যা বলা শিখবে অর্থাৎ পল্টারিং করবে। পাশাপাশি পল্টারিংয়ের বিষয়ে সচেতনতা থাকলে হয়তো অনেকে এ জাতীয় কূটনৈতিক মিথ্যাচার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করবে। | 350,982 |
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জুলাই ২০১৫, ০১:০৩ | ২৩ জুলাই ২০১৫, ০১:০৪ | মির্জাপুর,টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | প্রকৌশলীর সই জাল, কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/582403 | টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা প্রকৌশলীর স্বাক্ষর জাল করে ভবনের নকশা অনুমোদনের দায়ে মো. মজিবর রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও মো. মাসুম আহমেদ। মজিবর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। ভ্রাম্যমাণ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও মঙ্গলবার বিকেলে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের হাটুভাঙা সড়ক এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন পরিদর্শনে যান। নিরাপত্তার ব্যবস্থা না নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করায় ভবনের মালিক গোড়াই এলাকার আমছের আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আমছের আলীর ছেলে শামীম রেজা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ওই টাকা দেন। এ সময় তিনি (ইউএনও) ভবনটির নকশা দেখেন। নকশাতে উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামসুল আলমের স্বাক্ষর ও সিল দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। পরে তিনি নকশাটি যাচাই করতে তাঁর (ইউএনও) কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। সেখানে শামসুল আলমকে ডেকে স্বাক্ষরের বিষয়টি জানতে চাইলে তা জাল বলে চিহ্নিত হয়। পরে শামীম রেজার দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ মজিবরকে আটক করে। তাঁকে রাত আটটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই কারাদণ্ড দেন। | 154,347 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:০৪ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:০৬ | বাংলা গান | 0 | শখের বশে মিউজিক ভিডিও নির্মাতা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/757972 | ছবি তোলার ব্যাপারে বেশ আগ্রহ সংগীতশিল্পী তপুর। আগ্রহকে বাস্তবে রূপ দিতে একটি ক্যামেরাও কিনে ফেলেন। এরপর যেখানেই তপু, সেখানেই সঙ্গী হিসেবে থাকে ক্যামেরাটি। আর তাতে ধরে রাখেন সে সময়ের মুহূর্তগুলো। মাস সাতেক আগে বউকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন তপু। এবার তিনি শুধু ছবি নয়, নিজের কেনা ক্যামেরা দিয়ে একটি গানের ভিডিও বানিয়ে চলে এলেন। ভালোবাসা দিবসে গানের ভিডিওটি প্রচার করা হবে।প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে কেয়া পাতার নৌকো অ্যালবামে ‘ভালো আছি’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছিলেন তপু। সেই গানেরই ভিডিও আসছে এবারের ভালোবাসা দিবসে। এটি সংগীতশিল্পী তপুর প্রথম গানের ভিডিও। আর ব্যাপারটি শখের বশেই করেছেন বলে প্রথম আলোকে জানান তপু।‘ভালো আছি’ শিরোনামের এই গানে তপুর সঙ্গে মডেল হয়েছেন তাঁর স্ত্রী নাজিবা সেলিম। সে হিসেবে এবারই প্রথম স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কোনো গানে মডেল হলেন।তপু বলেন, ‘ক্যামেরা কেনার পর থেকে আমি ছবি তুলছি। এটা আমার শখ। ভিডিওর ব্যাপারটিও শখের বশেই করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ভিডিও তৈরির পর সম্পাদনার কাজটিও আমি নিজেই করেছি। আমার কাছে ভিডিও বানানোর ব্যাপারটি খুব বেশি কঠিন মনে হয়নি। আমি শুধু ছবির ফ্রেমটা ধরার চেষ্টা করেছি।’এদিকে এবার ভালোবাসা দিবসে একটি অ্যালবামে থাকছে তপুর গান। প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে তিনি গেয়েছেন খেয়াল পোকা অ্যালবামে। | 197,824 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ মার্চ ২০১৮, ১৭:৪৫ | ১২ মার্চ ২০১৮, ১৯:১৮ | ইউএস বাংলা,দুর্ঘটনা | null | ৩২ বাংলাদেশি ছিলেন উড়োজাহাজটিতে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1448731 | নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটিতে ৩২ বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, উড়োজাহাজটিতে ক্রুসহ মোট ৭১ জন ছিলেন। যাত্রী ছিলেন ৬৭ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়া ৩৩ জন নেপালি, একজন করে মালদ্বীপ ও চীনের যাত্রী ছিলেন। ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা ঢাকা থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টায় আছি আমরা।’দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজটি ছেড়ে যায়। নেপালে পৌঁছানোর পর স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫ মিনিট) এটি বিধ্বস্ত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি।নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ চলছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। | 357,661 |
নোয়াখালী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ মার্চ ২০১৪, ২৩:০৫ | ২৫ মার্চ ২০১৪, ২৩:২৭ | নোয়াখালী,অপরাধ,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | বউ-শাশুড়ির ঝগড়ায় ১৪ বছর পর বেরিয়ে এল সত্য | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/176982 | নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় চৌদ্দ বছর পর এক নারীর অন্তর্ধানরহস্য বেরিয়ে এসেছে। প্রতিবেশি এক পরিবারের পারিবারিক কলহের সময় তাঁদের কথা বার্তা থেকে বেরিয়ে এসেছে নুরুন্নাহার বেগম নামের ওই নারীকে খুন করে পুঁতে রাখা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার দুই নারীকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নুরুন্নাহারের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বিকেলে নির্বাহী হাকিম শরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে থানা পুলিশ উপজেলার কুশুল্লারবাগ গ্রামের একটি খেত থেকে নুরুন্নাহারের হাড়-গোড় উদ্ধার করে। এ সময় নুরুন্নাহারের স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে আশেপাশের গ্রামের শত শত মানুষ ভিড় জমায়।এলাকাবাসী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুশুল্লারবাগ গ্রামের বাসিন্দা নুরুন্নাহার বেগম ২০০০ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গত রোববার প্রতিবেশি একটি পরিবারের বউ-শাশুড়ি ও অন্য সদস্যদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে ঝগড়া বাধে। এ সময় তাঁদের মধ্যে দুই বউ নিখোঁজ নুরুন্নাহারকে হত্যা করা হয়েছে বলে সবাইকে জানিয়ে দেন। এরপরই নুরুন্নাহারের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪০) থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সামছুন্নাহার বেগম (৪৮) ও তাঁর মা মনোয়ারা বেগম (৭০) নামের এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।নুরুল ইসলাম এজহারে উল্লেখ করেন—তাঁর মা নুরুন্নাহার বেগম বাপের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রির ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যবসার জন্য স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ধার দেন নুরুল আমিন নামের এক প্রতিবেশিকে। নুরুল আমিন সেখানকার বাসিন্দা সৈয়দ আলীর মেয়ে সামছুন্নাহারকে বিয়ে করে শ্বশুরের পরিবারের সঙ্গেই বাস করছিলেন। এজাহারে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, ধার নেওয়া টাকার বিনিময়ে প্রতি বছর নুরুন্নাহারকে ৩০ মণ ধান দেওয়ার কথা ছিল নুরুল আমিনের। কথা অনুযায়ী ধান না দেওয়ায় এ নিয়ে নুরুল আমিনের সঙ্গে নুরুন্নাহারের কথা কাটাকাটি হয়।নুরুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর মা বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে নুরুল আমিন তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর ২০০০ সালের ৫ জানুয়ারি ভোর থেকে তাঁর মা নুরুন্নাহার বেগম নিখোঁজ ছিলেন।এজহারে উল্লেখ করা তথ্য ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিখোঁজ নুরুন্নাহারের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়া নুরুল আমিন এখনও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গেই বাস করেন। নুরুল আমিনের স্ত্রী সামছুন্নাহার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া তাঁর বাপের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। এই নিয়ে গত রোববার সামছুন্নাহারের দু্ই ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও আছমা আক্তারের সঙ্গে তাঁদের ঝগড়া হয়। এ সময় সেলিনা আক্তার ও আছমা আক্তার বলেন, তাঁদের ননদ সামছুন্নাহার বেগম ও তাঁর স্বামী নুরুল আমিন ও শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা ১৪ বছর আগে নুরুন্নাহার বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেন।এরপরই নুরুল ইসলাম থানায় এজাহার দেন।গত সোমবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী থানায় প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে মনোয়ারা বেগম নিখোঁজ নুরুন্নাহারের লাশ গুম করে রাখার কথা স্বীকার করেন। তবে তাঁকে হত্যা করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, তাঁদের জমিতে মাছ ধরা ঠেকানোর জন্য বৈদ্যুতিক তার টাঙানো ছিল। ভোরে নুরুন্নাহার সেখানে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এরপর তাঁরা ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে লাশ বাড়ির পাশে খেতে গর্ত করে পুঁতে রাখেন। লাশটি পুঁতেছিলেন তাঁর ছেলে রইছ উদ্দিন ও স্বামী সৈয়দ আলী। সৈয়দ আলী ইতিমধ্যে মারা গেছেন এবং রইসউদ্দিন এখন বিদেশে থাকেন। অন্যদিকে, জামাতা নুরুল আমিন গত রোববারই পালিয়ে যান।পুলিশ জানায়, থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাদে মনোয়ারা বেগম ‘নিখোঁজ’ নুরুন্নাহার বেগমের মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করেন এবং কারা কিভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁর বর্ণনা দেন। তাঁর (মনোয়ারা) এবং মেয়ে সামছুন্নাহারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আজ বিকেলে গর্ত খুড়ে ওই হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাথার খুলি, অস্থি-মজ্জাসহ শরীরের বেশিরভাগ হাড়গোড়ই উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ওই গর্তে পাওয়া রুপার চুড়ি দেখে বোঝা যায়—উদ্ধার করা হাড়গোড়গুলো মহিলার।’সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার করা হাড়গোড় ও অস্থিমজ্জা নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। সেখানকার কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় উচ্চতর পরীক্ষার জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করবেন।এ ছাড়া এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা মা-মেয়েকে আজ নোয়াখালীর বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে আদালত সুত্রে জানা গেছে। | 60,778 |
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৪৭ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৫২ | বাগমারা,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার | 0 | আসামি গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/744073 | রাজশাহীর বাগমারা থানার পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের সুজন উদ্দিন (২৫) ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছির দুলু হোসেন (৪০)। গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বাগমারা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, গতকাল সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে সুজন জেলার চারঘাট থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় দুই বছরের এবং দুলুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা একটি মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। | 193,708 |
দিনাজপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৮ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৮ | দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ভর্তি পরীক্ষা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1080843 | হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (স্নাতক) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৯ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মু. আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ভর্তি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ৯৫৫ আসনের বিপরীতে ৯৬ হাজার ৪১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। | 293,469 |
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪, ০১:০৪ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৩১ | মুন্সিগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | ৭০ মণ জাটকা জব্দ, একজনের কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/195238 | মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে কোস্টগার্ডের সদস্যরা তিনটি ট্রলার থেকে ৭০ মণ জাটকা জব্দ করেছেন। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন (৪২) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বুরোরচর গ্রামে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম পুর্শিয়া আক্তার ও শারমিন আক্তার তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।পরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জব্দ করা মাছ বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করেন। | 66,644 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ আগস্ট ২০১৪, ২০:৩৮ | ০৯ আগস্ট ২০১৪, ২০:৪৩ | রাজধানী (জাতীয়),দুর্ঘটনা | 0 | এক কনস্টেবলের গুলিতে আরেক কনস্টেবল আহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/286657 | হাইকোর্টে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের এক কনস্টেবলের শর্টগানের গুলিতে মো. নাসিদুল (২৩) নামের আরেক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত নাসিদুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ বলছে, অসতর্কতাবশত শর্ট গানের গুলি বের হয়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, নাসিদুল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একজন কনস্টেবল। আজ হাইকোর্ট এলাকায় তিনি দায়িত্ব পালন করেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়। তিনি পরবর্তী সময়ের জন্য আসা কনস্টেবল মিজানের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগে মিজান তাঁর সঙ্গে থাকা শটগান পরখ করে নিচ্ছিলেন। তখনই অসতর্কতাবশত একটি গুলি বের হয়ে নাসিদুলের বাম পায়ের ঊরুতে লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শটগান চেক করতে গিয়ে মিসফায়ারে গুলি লেগেছে। বড় কোনো অঘটন ঘটেনি।’ | 83,508 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৩ জুলাই ২০১৮, ১৫:২৭ | ০৩ জুলাই ২০১৮, ১৯:১৩ | ফুটবল,মেক্সিকো,ব্রাজিল,বিশ্বকাপ ফুটবল,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ | null | ‘ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়েরা নাটুকে’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1524051 | ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে মেক্সিকো। তবে এই ম্যাচের রেফারিং নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট মেক্সিকো কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও। নেইমারকে তো রীতিমতো ধুয়েই দিয়েছেন তিনি১৯৯৪ বিশ্বকাপ থেকে শুরু, ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ পর্যন্ত ৭টি বিশ্বকাপে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হলো মেক্সিকোকে। নকআউট পর্বের বাধা পেরোনোর পথে বারবার থমকে গেছে মেক্সিকো। এটা হয়েছে কখনো কঠিন প্রতিপক্ষের কারণে, কখনো ভাগ্যের কাছে হার মেনে। এবারও মেক্সিকোকে খেলতে হয়েছে ব্রাজিলের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।অনুমিতভাবেই হেরেছে তারা। কিন্তু মেক্সিকোর কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও মনে করেন, বাজে রেফারিংই ব্রাজিলের বিপক্ষে হারিয়েছে তাঁদের।ম্যাচের ইতালিয়ান রেফারি গিয়ানলুকা রচ্চি ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের ইচ্ছে করেই ম্যাচের সময় নষ্ট করতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওসোরিওর, ‘পরিসংখ্যান বলবে, বল আমাদের দখলে বেশি ছিল। আমরা সুযোগও তৈরি করেছি। কিন্তু রেফারির বারবার খেলা থামিয়ে দেওয়া আমাদের খেলার কৌশলে প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা অহেতুক পড়ে যাচ্ছিল। রেফারি সেগুলো ফাউল ধরেছেন।’মুখে ব্রাজিল খেলোয়াড়দের কথা বললেও ওসোরিও নির্দিষ্ট করে একজনের সমালোচনা বেশি করেছেন। সেই একজন যে নেইমার, সেটি বুঝতে খুব জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। ৭২ মিনিটে নেইমারকে মেক্সিকোর মিগেল লায়ুন বুট দিয়ে মাড়িয়ে দিলে নেইমার মাঠে কিছুক্ষণ পড়ে থাকেন। তাঁকে শুশ্রূষা দেওয়ার জন্য ৪ মিনিট সময় ব্যয় হয়। সেটি নিয়ে ক্ষুব্ধ ওসোরিও, ‘একজন খেলোয়াড় বারবার পড়ে যাচ্ছে আর বারবার রেফারি খেলা থামিয়ে দিচ্ছেন, এ রকম দৃশ্য ফুটবলের জন্য ভালো কিছু নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এটি ভুল বার্তা। ফুটবল শক্তিশালীদের খেলা, শক্তিশালী না হলে এখানে খেলার কোনো অর্থ নেই।’বোঝাই যাচ্ছে, দলের বাদ পড়ে যাওয়ার ধরনটা ভালোভাবে নেননি ওসোরিও। পুরো মেক্সিকোও যে ব্রাজিল খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ে অখুশি, সেটি ওসোরিওর কথার মাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছে। এক নজরে ব্রাজিল এক নজরে মেক্সিকো | 369,182 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৩ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৫ | নির্বাচন,সিইসি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,টিআইবি,নির্বাচন কমিশন | null | টিআইবির প্রতিবেদন ভিত্তিহীন: সিইসি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1574842 | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন ভিত্তিহীন।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আজ বুধবার বিকেলে কমিশনে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।নির্বাচন বিষয়ে টিআইবি যে মন্তব্য করেছে তা অসৌজন্যমূলক উল্লেখ করে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘ওই প্রতিবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি, কারণ মাঠ পর্যায় থেকে আমরা এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। এমনকি মিডিয়া থেকেও অভিযোগ পাইনি।’সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘শুধু মিডিয়া নয়, যারা নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন, তাদেরও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’প্রসঙ্গত, ভোটে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের পক্ষে মত দিয়েছে সংস্থাটি। ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার টিআইবির ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে করা গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরে টিআইবি। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্য থেকে দ্বৈবচয়নের (লটারি) ভিত্তিতে ৫০টি বেছে নেয় সংস্থাটি। | 387,138 |
কাজী নুরুল ইসলাম, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জুলাই ২০১৪, ০১:২০ | ১৭ জুলাই ২০১৪, ০২:১৪ | ঠাকুরগাঁও,বিশাল বাংলা,পীরগঞ্জ | 0 | খোলা আকাশের নিচে ২৫০০ টন ইউরিয়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/269596 | বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ বাফার স্টক (আপৎকালীন মজুত) গুদামে স্থান সংকুলান না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এসব সার গুদামের বাইরে রয়েছে।গুদাম কর্তৃপক্ষের দাবি, দুই জেলায় সারের চাহিদা বাড়ছে। তাই এখন প্রতিদিনই ডিলাররা সার নিয়ে যাচ্ছেন। আর বেশিদিন খোলা আকাশের নিচে সার থাকবে না।ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ বাফার গুদাম থেকে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার ১০ উপজেলার ১০৩ জন বিসিআইসি ডিলার এবং ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় চিনিকলের সাবজোন এলাকার আখচাষিদের ইউরিয়া সরবরাহ করা হয়।গুদামের কারিগরি কর্মকর্তা জানান, এ গুদামে সাধারণ ও সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা যথাক্রমে সাড়ে সাত হাজার ও ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ১৫ জুলাই বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিবগঞ্জ বাফার গুদামে ১৭ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া মজুত ছিল। এর মধ্যে গুদামের ভেতরে ১৫ হাজার টন মজুত রাখা হয়। অবশিষ্ট সার জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই গুদামের বাইরে খোলা আকাশের নিচে রাখা আছে।জানা গেছে, ইউরিয়া সারের সংকট মোকাবিলায় এবার চীন, কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ইউরিয়া সার আমদানি করে গুদামে মজুত করা হয়। মে মাসে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ বাফার গুদামে পৌঁছায়।এদিকে সারের চাহিদা না থাকায় বিসিআইসি ডিলাররাও বাফার গুদাম থেকে সার তুলতে অনীহা প্রকাশ করছেন। জেলা বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামশুজ্জামান বলেন, ‘ইউরিয়া সার নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ সার। দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকলে মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ সময় সারের চাহিদাও নেই। তাই ডিলাররা সার তুলছেন না।’পীরগঞ্জের বিসিআইসি ডিলার হাবিবুর রহমান বলেন, মে, জুন ও জুলাই মাসে সারের চাহিদা কম। বাফার গুদামের বাইরে রাখা সারের মান খারাপ হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার কারণে বস্তাপ্রতি দুই-তিন কেজি করে ওজনে কমে যাচ্ছে। সার আনতে গেলেই ওই খোলা জায়গার সার নিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।বিসিআইসির শিবগঞ্জ বাফার গুদামের কারিগরি কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন ডিলাররা কিছু কিছু সার নিয়ে যাচ্ছেন। সামনে আমন ও শীতকালীন ফসলের জন্য সারের চাহিদা বাড়বে। আমার এখানকার খোলা জায়গার সার স্বল্প সময়েই শেষ হবে বলে আশা করি।’ | 78,473 |
সাঈদা ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৫৬ | ০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০২:২১ | -1 | null | সংকটে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/53944 | অর্থসংকটে পড়েছে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেবার মান পড়ে যাওয়ায় রোগী কমছে। অতিরিক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতায় বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অন্যদিকে টাকার অভাবে অবসরে যাওয়া কর্মীরা গ্র্যাচুইটি পাচ্ছেন না।হাসপাতালটি পরিচালিত হয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিধিমালা অনুযায়ী। একসময় হাসপাতালের সেবার মান ছিল উন্নত। ১৯৯০ সালের পর থেকে দলীয় বিবেচনায় হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ হচ্ছেন। তখন থেকে প্রয়োজনের বাইরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।হাসপাতালের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অতিরিক্ত কর্মচারী এ হাসপাতালের সবচেয়ে বড় সমস্যা।অতিরিক্ত জনবল: ৫২৮ শয্যার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৯০০। ঢাকার ৫৬০ শয্যার শিশু হাসপাতালে এ সংখ্যা প্রায় ৭০০।হাসপাতালের গড় আয় মাসে তিন কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে দুই কোটির টাকার বেশি খরচ হয় মাসিক বেতনের পেছনে। ফলে রোগীর পেছনে খরচ করার পর্যাপ্ত টাকা থাকে না।সিরাজুল ইসলাম বলেন, অন্তত ৩০০ কর্মচারী উদ্বৃত্ত। তাঁদের পেছনে মাসে ব্যয় ৬০ লাখ টাকা। ভারসাম্য আনার জন্য শূন্য হওয়া পদের বিপরীতে অর্ধেকের কম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।হাসপাতালের করুণ দশা: হাসপাতালের শয্যা ব্যবহারের হার ৫০ শতাংশ। বছরে গড়ে অর্ধেক শয্যাই খালি পড়ে থাকে।এ প্রসঙ্গে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেছেন, সেবা বাড়াতে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেই। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেছে হাসপাতালটি।হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ওয়ার্ড, কেবিন ও টয়লেট অপরিষ্কার, নোংরা। শয্যা, তোশক, বালিশ, বিছানার চাদর ময়লা ও পুরোনো। প্রয়োজনের তুলনায় বাথরুম ও টয়লেট কম। অপরিচ্ছন্ন বাথরুমগুলো ব্যবহার করতে হয় প্রসূতি ও জটিল অপারেশনের রোগীদের।সিরাজুল ইসলামের দাবি, হাসপাতালটি আধুনিকায়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।ভবিষ্য তহবিল নিয়ে জটিলতা: কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) ও গ্র্যাচুইটির টাকা বকেয়া পড়েছে। গ্র্যাচুইটির বকেয়া ১০ কোটি টাকা।অবসর নেওয়া শান্তি কস্তা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ৩২ বছর হাসপাতালে সেবা দেওয়ার পরও তাঁকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অবসরের পর গত তিন বছরেও গ্র্যাচুইটির পুরো টাকা পাননি।ভবিষ্য তহবিলে বকেয়া পড়েছে সোয়া নয় কোটি টাকা। এসব টাকা বিভিন্ন সময় পরিচালকেরা বকেয়া রেখেছেন। ওই টাকা কোন খাতে খরচ করা হয়েছে তার উত্তর পাওয়া যায়নি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ভবিষ্য তহবিলের দুই কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। বকেয়া শোধ করে দেওয়া হবে। আগের বকেয়ার দায়-দায়িত্ব তাঁর নয়।হাসপাতালের কাছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির পাওনা প্রায় এক কোটি টাকা। বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় কমেছে ওষুধের সরবরাহ।গত ১৯ আগস্ট এ বিষয়ে নার্স-কর্মচারীদের একটা অংশ পরিচালকের কাছে ঘটনা জানতে গেলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। | 22,673 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:৫১ | ০৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:১৫ | যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন | null | ট্রাম্পের জয়ে চমকালেন সমর্থকেরাও | http://www.prothom-alo.com/international/article/1017425 | রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা আনন্দে ভাসছেন। চিৎকার করে বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আবার শ্রেষ্ঠ হোক।’ রাতভর উৎসবে মেতেছেন সমর্থকেরা। ‘যুক্তরাষ্ট্র’, ‘যুক্তরাষ্ট্র’ বলে চিৎকার করে যাচ্ছেন। বিজয়োৎসবে আসা অনেক সমর্থক স্বীকার করেন, তাঁরাও কল্পনা করেননি ট্রাম্প জিতবেন। এটি তাঁদের কাছেও চমক।সিএনএনের দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত পাওয়া ভোটের ফলাফলে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৮৮ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আর হিলারি পেলেন ২১৫টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। সর্বমোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৭০ ভোট।জয়ের আনন্দে সেজেছেন অ্যালিজা রোমানওফ। বললেন, তাঁরা খুবই রোমাঞ্চিত। ট্রাম্পের পরিবারকে তাঁরা অনেক দিন থেকেই চেনেন। সবার সঙ্গে তাঁরা এই জয় উদ্যাপন করছেন।এএফপির খবরে জানানো হয়, ম্যানহাটন হোটেলের বলরুমে রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা বিজয়োৎসব করছেন। তবে প্রথম দিকে তাঁরা কিছুটা হতাশার মধ্যে ছিলেন। একের পর অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জিততে শুরু করলে তাঁরাও চাঙা হয়ে ওঠেন।নির্বাচনের ফলাফল আসতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। উল্লসিত সমর্থকদের অনেকে স্বীকার করেন, তাঁরা কল্পনাও করেননি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি পিছিয়ে পড়বেন।নিউইয়র্কের টেলিকমিউনিকেশন কর্মকর্তা গ্লেন রুটি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য! আমি ভাবতে পারিনি ট্রাম্প জিতে যাবেন।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক সমর্থক ফোন করে জানান, তিনি ভাবতেও পারেননি ট্রাম্প জিতবেন।ট্রাম্পের জয়ে উল্লসিত সমর্থকদের একটা বড় অংশ শ্বেতাঙ্গ। তবে তাঁর সমর্থকদের আনন্দমিছিলে রয়েছেন এশীয় আমেরিকান, আফ্রিকান আমেরিকান ও হিস্পানিক আমেরিকানরা।বাল্টিমোর থেকে আসা জেস সিং বলেন, তাঁরা খুবই আনন্দিত। তাঁরা এমন উৎসব করবেন, যা আগে কেউ দেখেনি।লাল পোশাক, টুপি পরে ও মার্কিন পতাকা হাতে অনেক নারী যোগ দিয়েছেন ট্রাম্পের বিজয়মিছিলে। ফক্স নিউজে ট্রাম্পের বিজয় অনুষ্ঠান, হাততালি ও আনন্দের ছবি প্রচার করা হচ্ছে। | 263,610 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ২১:২২ | ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ২২:০২ | বাংলা গান | null | জন্মদিনে স্বামীকে নিয়ে সেকেন্ড হোমে রুনা লায়লা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1565554 | ‘গোয়িং টু মাই সেকেন্ড হোম, কলকাতা টু সেলিব্রেট মাই বার্থডে’, নিজের ফেসবুকে এমনটাই লিখলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লা। কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে আজ শুক্রবার বেলা তিনটার পর ফেসবুকে লিখেছেন তিনি। আগামীকাল ১৭ নভেম্বর বরেণ্য এই শিল্পীর ৬৬তম জন্মবার্ষিকী। রুনা লায়লাকে এবারের জন্মদিনে তাঁর স্বামী বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীর ট্রিট দিচ্ছেন।৫৩ বছরের সংগীতজীবনে হাতেগোনা কয়েকবার দেশের বাইরে জন্মদিন পালন করেছেন রুনা লায়লা। এর মধ্যে ২০১৫ সালে লন্ডনে আর দুবার ভারতে। রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি বরাবরই জন্মদিনটা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করি। এবারও তেমনটাই হচ্ছে। দেশের বাইরে হওয়ার কারণে স্বামী ছাড়া অন্যদের মিস করব।’পাঁচ দশকের দীর্ঘ সংগীতজীবনে ১৭ ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন রুনা লায়লা। অর্জন করেছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা। বাংলা ছাড়া রুনা লায়লা উর্দু, হিন্দি আর ইংরেজি ভাষা জানেন। তবে বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, পশতু, বেলুচি, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালিয়ান, স্পেনিশ, ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজি ভাষায় গান করেছেন তিনি।কলকাতায় নিজেদের মতো করে জন্মদিন উদযাপন শেষে ১৯ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবেন তাঁরা। চলচ্চিত্র ও গানের জগতে আলমগীর ও রুনা লায়লার ব্যস্ততা এখনো আগের মতোই। জন্মদিনে একেবারে নিজেদের মতো করে কাটাতে চান বলে পাশের দেশ ভারতের কলকাতাকে পছন্দ করেছেন রুনা। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই শিল্পী বলেন, ‘কলকাতা আমার খুব প্রাণের একটা শহর। ওখানে গেলে মনে হয় না নিজের বাড়ির বাইরে কোথাও আছি। এটাকে আমার সেকেন্ড হোম মনে হয়।’গানের জনপ্রিয়তায় কলকাতায়ও রয়েছে রুনা লায়লার অনেক বন্ধু, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী। তবে জন্মদিনে তাঁদের কাউকে পাওয়া যাবে না বলে জানালেন রুনা লায়লা। বললেন, ‘এটা একেবারে আমাদের ব্যক্তিগত ট্যুর। আলমগীর সাহেব জন্মদিনে ট্রিট দিয়েছেন। আমরা একান্তে দুদিন সময় কাটাব, এই।’বাংলাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লা ভারতের গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’য় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই সময়টাতে জন্মদিন পড়ে যাওয়ায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ শুরুতে শুটিং সেটে এবং পরে একটি রেস্তোরাঁয় রুনা লায়লার জন্মদিন উদযাপন করেন।উর্দু ছবি ‘জুগনু’তে রুনা লায়লা গান গেয়েছেন ১৯৬৫ সালের জুন মাসে। এরপর তিনি গেয়েছেন হাজার দশেক গান। অর্জন করেছে স্বাধীনতা পদক। দেশ-বিদেশে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয়বার। রুনা বললেন, ‘যত দিন ভালো গাইতে পারব, তত দিন গান গাইব। নিজে মনে করব যে এখনো গাইতে পারছি, সুর নড়ছে না, বেসুরো হচ্ছে না, কণ্ঠ কাঁপছে না, তত দিন গান করব। যখন মনে হবে এখন আর হচ্ছে না, তখন গান ছেড়ে দেব।’১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। তাঁর বাবার নাম এমদাদ আলী ও মায়ের নাম আমিনা আলী। বাংলাদেশের সংগীতের কিংবদন্তি এই শিল্পী চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত। দেশের বাইরে গজল গায়িকা হিসেবেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তাঁর সুনাম আছে। এ ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের অনেক চলচ্চিত্রের গানেও তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। | 382,586 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:০২ | ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৭ | খবর | 0 | বার্জার পেইন্টসের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন | http://www.prothom-alo.com/economy/article/746812 | মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ২০১৬ সালের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন। অনুষ্ঠানে বার্জারের ১৫০ জনের বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুপালী চৌধুরী এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রধান, আঞ্চলিক কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট তাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও কৌশলগুলো উপস্থাপন করে। অনুষ্ঠানের শেষে ২০১৫ সালে ব্যবসায় সর্বোচ্চ অবদান রাখা কর্মকর্তাদের ক্রেস্ট এবং প্রাইজমানি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি। | 194,704 |
কলকাতা প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ২৭ নভেম্বর ২০১৫, ১২:৫২ | ২৭ নভেম্বর ২০১৫, ১৩:৩০ | ভারত | 0 | পিত্তথলিতে ১২ হাজার পাথর! | http://www.prothom-alo.com/international/article/696196 | ভারতের কলকাতায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারীর পিত্তথলি থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ১১ হাজার ৯৫০টি পাথর উদ্ধারের দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা।স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার টালিগঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মিনতি মণ্ডল নামে এক নারীর পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার করে ওই পাথর উদ্ধার করা হয়। মিনতির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে।এই অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেন চিকিৎসক মাখনলাল সাহা। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১১ হাজারের বেশি পাথর পিত্তথলি থেকে বের করার নজির চিকিৎসা শাস্ত্রে নেই।মিনতি মণ্ডল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর পেটে ব্যথা হচ্ছিল। স্থানীয় চিকিৎসক তাঁকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করতে দেন। তিন-চার দিন আগে তাঁর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে কলকাতার পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক মাখনলাল সাহার কাছে যান তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়।চিকিৎসকেরা জানান, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে পাথরগুলো বের করা হয়৷ পাথরগুলো গুনতে চার ঘণ্টার মতো লেগেছে। রোগিণী এখন বিপদমুক্ত।চিকিৎসকদের ভাষ্য, যুক্তরাজ্যে এক নারীর পিত্তথলি থেকে ৩ হাজার ১১০টি পাথর বের করার নজির আছে। সেটি ছিল একটি বিশ্ব রেকর্ড। আর তা ভেঙে দিয়েছে কলকাতার সবশেষ এই ঘটনা। | 178,159 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০২ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৪১ | ০২ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৪১ | হলিউড | 0 | যে নাচ দুর্ঘটনার কারণ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1545666 | সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যখন পুরো দেশের কিশোর-তরুণেরা সরব, অন্যদিকে তখন তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এক নাচের ‘চ্যালেঞ্জ’ বিশ্বব্যাপী দুশ্চিন্তা ছড়াচ্ছে। ‘কিকি চ্যালেঞ্জ’ নামের সেই ‘ভাইরাল’–কাণ্ড এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকারীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জে দেখা যায়, তরুণ-তরুণীরা চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে রাস্তায় নেমে যান এবং চলন্ত গাড়ির গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গাড়ির ভেতরে থাকা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে নাচতে শুরু করেন। এই নাচের কারণে কয়েক সপ্তাহে ঘটেছে অনেক দুর্ঘটনা, অনেকে হয়েছেন আহত। তাই বিভিন্ন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিকি চ্যালেঞ্জ বন্ধে রীতিমতো নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।কিছুদিন আগে কিকি চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে গিয়ে এক কিশোরী অপর দিক থেকে আসা গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। আবার এক নারী গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে নাচতে গিয়ে দরজার ধাক্কা খেয়ে লুটিয়ে পড়েন রাস্তায়। আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, নাচের ভিডিও করার সময় এক ছিনতাইকারী একজনের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। কিকি চ্যালেঞ্জ ঘিরে এমন নানা দুর্ঘটনার খবর আসছে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে।এই কিকি চ্যালেঞ্জকে অভিনব সব উপায়ে ঠেকাতে কাজ করছে বিভিন্ন দেশ। যেমন মিসরে এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাকে কিকি চ্যালেঞ্জের ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যাবে, তার এক বছরের জেল হবে। এরই মধ্যে তুরস্কের এক তারকাশিল্পী এই কিকি চ্যালেঞ্জের ভিডিও পোস্ট করার কারণে জরিমানা গুনেছেন। আবুধাবিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর স্পেনের সরকার ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে কিকি চ্যালেঞ্জ। তাই নিরাপদ জায়গায় গিয়ে এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেছে তারা। আর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ বিভাগ তাদের নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেছে সচেতনতামূলক ভিডিও। কিন্তু এতে কি কোনো কাজ হচ্ছে? গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে #কিকিচ্যালেঞ্জ দিয়ে এরই মধ্যে চার লাখ পোস্ট দেখা গেছে। অনেক বড় বড় তারকাও এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিচ্ছেন। উইল স্মিথ থেকে শুরু করে কিয়ারা—সবাই ড্রেকের গান ‘ইন মাই ফিলিংস’-এর সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন। তবে বড় তারকারা এই চ্যালেঞ্জে বিপজ্জনকভাবে চলন্ত গাড়ি থেকে নেমে নাচছেন না। তাঁরা বরং নিরাপত্তার বিধিবিধান মেনেই পোস্ট করছেন কিকি চ্যালেঞ্জের ভিডিও। যাঁরা নিরাপত্তার বিধান মানছেন না, তাঁরা পড়ছেন নানা ধরনের দুর্ঘটনায় কিংবা জেল-জরিমানার মতো আইনি ফ্যাসাদে।কিকি চ্যালেঞ্জ কী?‘কিকি চ্যালেঞ্জ’-কে অনেকেই ‘কেকে চ্যালেঞ্জ’ বা ‘ইন মাই ফিলিংস চ্যালেঞ্জ’ও বলছে। কানাডীয় গানের তারকা ড্রেকের গান ‘ইন মাই ফিলিংস’-এর সঙ্গে অদ্ভুত এক নাচের রীতিকে বলা হচ্ছে কিকি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে একজনকে চলন্ত গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির দরজা খোলা রেখে নাচতে হয়। গাড়িতে তখন বাজতে থাকে ড্রেকের গানটি। এরপর সেই নাচের ভিডিও পোস্ট করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত জুন মাসে এমন একটি ভিডিও সবার আগে পোস্ট করেন শিগি নামের এক মার্কিন কমেডিয়ান। এরপর থেকে চ্যালেঞ্জটি হয়ে যায় ভাইরাল। বাংলাদেশেও অনেক তরুণ-তরুণীকে কিকি চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে দেখা গেছে। তবে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। | 372,386 |
প্রতিনিধি, নাটোর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ মে ২০১৯, ১২:৫৭ | ০৬ মে ২০১৯, ১৬:৪০ | নাটোর,অপরাধ,রাজশাহী বিভাগ,লালপুর,অপহরণ | 0 | উদ্ধার হননি সেই শ্রমিক সরদার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1592288 | অপহরণের দুই সপ্তাহ পরও নাটোরের লালপুর উপজেলার ইটভাটার শ্রমিক সরদার আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন ওরফে নান্নুসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজন অপহরণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।শ্রমিক সরদারের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আবুল কালাম আজাদকে অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। অন্য একটি পক্ষ বলছে, ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে শ্রমিক সরবরাহ না করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালিকের সঙ্গে শ্রমিক সরদারের বিরোধ চলছিল।মামলার এজাহার ও আবুল কালাম আজাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোরদহ গ্রামের আবুল কালাম আজাদ রামকৃষ্ণপুর গ্রামের এনইএল নামের ইটভাটায় শ্রমিক সরদার হিসেবে কাজ করতেন। ২০ এপ্রিল বেলা দুইটার দিকে তিনি তাঁর বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বেরিলাবাড়ি তিনখুঁটি এলাকায় পৌঁছালে এনইএল ইটভাটার দুই মালিক ফরহাদ হোসেন, মো. লেলিনসহ ১০ থেকে ১২ জন তাঁকে ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে ইটভাটায় নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁরা সরদারের স্ত্রী শরিফা বেগম ও ভাই রাকিবুল ইসলামের মুঠোফোনে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। শরিফা বেগম ও রাকিবুল ইসলাম ওই ইটভাটায় গিয়ে আবুল কালামের খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁকে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্বামীকে না পেয়ে গত ২৫ এপ্রিল শরিফা বেগম বাদী হয়ে লালপুর থানায় মো. লেলিন (৩৭), ফরহাদ হোসেন (২৮), সহযোগী মো. মামুনসহ (২২) ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদা দাবির মামলা করেন।মামলা দায়েরের দিনই পুলিশ এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করেন। ফরহাদ হোসেন ও তাঁর দুই সহযোগী মামুন ও পলাশ অপহরণের দায় স্বীকার করে ২৬ এপ্রিল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে এখন পর্যন্ত আবুল কালামের সন্ধান পাননি পুলিশ।শরিফা বেগম স্বামীর জীবিত থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা আদালতে অপহরণের কথা স্বীকার করেছেন। তাহলে পুলিশ কেন তাঁর স্বামীর সন্ধান পাচ্ছে না, তা নিয়ে তিনি চিন্তিত।এদিকে এনইএল ইটভাটার মালিকপক্ষের একজন পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, আবুল কালাম আজাদ শ্রমিক সরবরাহের জন্য মালিকের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রমিক সরবরাহ করেনি। এটা নিয়ে তাঁর সঙ্গে মালিকপক্ষের দ্বন্দ্ব হয়। একপর্যায়ে ওই সরদার ও আসামি লেলিন নিখোঁজ হন। মুক্তিপণ বা চাঁদা দাবির ঘটনা সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, তিন আসামি আবুল কালাম আজাদকে অপহরণের দায় স্বীকার করলেও তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তথ্য দেননি। তাই তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আসামি ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর বাঘা থানায় আরও একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতি মামলা। মামলার প্রধান আসামি মো. লেলিন এখনো আত্মগোপন করে আছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা গেলে শ্রমিক সরদারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। | 400,683 |
-1 | sports | খেলা | ১৬ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৩০ | ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:০৪ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল,মেসি | 0 | আকাশে বিপত্তি মেসিদের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1021697 | বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা যেভাবে এগোচ্ছে, পরশু সেটা যেন শারীরিকভাবেই অনুভব করলেন মেসিরা! কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংক্ষিপ্ত বিমানভ্রমণে বড় একটা ধকলই গেছে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে প্রবল ঝাঁকুনির মধ্য দিয়ে এগিয়েছে আর্জেন্টিনা দলকে বহনকারী বিমান। এ সময় অধিনায়ক লিওনেল মেসিসহ বেশ কজন খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেসি নাকি বমিও করেছেন।আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস থেকে বিমানে করে মেসিরা যাচ্ছিলেন প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দূরের সান হুয়ানে। সেখানেই আজ ভোরে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়েছে তারা। আর্জেন্টিনার জন্য যেটি ছিল অনেকটা বাঁচা-মরার এক ম্যাচ। এই ম্যাচে দল আর্জেন্টিনার ‘বিমান’টা ঠিকমতো উড়াল দিয়েছে কি না, তা হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন আপনি। সূত্র: এএফপি। | 265,777 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ আগস্ট ২০১৪, ০১:৪৫ | ১৮ আগস্ট ২০১৪, ০১:৪৬ | সিলেট বিভাগ,সিলেট,মহানগর,অপরাধ | 0 | ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও... | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/293953 | সিলেট শহরের পাঠানটুলা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। নিমন্ত্রণ পেয়ে ওই বিয়েতে যান ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। সেখানে গিয়ে তাঁদের দেখা হয় ছাত্রদলেরই আরেক পক্ষের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। দেখা হওয়া মাত্রই এক পক্ষ ধাওয়া দেন আরেক পক্ষকে। এ সময় কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ভাঙচুর করা হয় বিয়ের গাড়িও। আহত হন ছাত্রদলের পাঁচ কর্মী। বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক দেখা দেয় অতিথিদের মধ্যে। গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে পাঠানটুলার সাইনরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার (ওসি) গৌসুল হোসেন বলেন, নগর ছাত্রদলের বিবদমান দুটি পক্ষের কর্মীরা বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। ওই দ্বন্দ্ব থেকেই সংঘর্ষ হয়। | 85,931 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:১২ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:৪২ | আরব বিশ্ব | null | এরদোয়ানের কোলে আলেপ্পোর ‘টুইটিং গার্ল’ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1044603 | সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর আলেপ্পোর সাত বছরের শিশু বানা আল-আবেদ। যে বয়সটা বাইরে ছুটে বেড়ানোর সময়, দুরন্তপনার সময়, সেই সময়টা তার কাটছে দুর্বিষহ যন্ত্রণায়। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত দেখতে হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ। যে বয়সে শিশুরা কাগজের উড়োজাহাজ বানিয়ে শূন্যে ছুড়ে মারে, সেখানে বানা সত্যিকারের বিমানের হামলার মুখে কুঁকড়ে থাকে।তবে এই যন্ত্রণা সে ঘরে বসে টুইটারের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে। এতে তাকে সাহায্য করেছে মা। এরই মধ্যে বানার ফলোয়ার ৩ লাখ ৩০ হাজার। টুইটারের মাধ্যমে বানার তুলে ধরা আলেপ্পোতে মৃত্যুর মিছিল, ভয়াবহতা, আহাজারি—সব যেন আবারও বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয়।কিন্তু এ মৃত্যুপুরীতে দুঃসহ এই জীবন আর কত দিন? এ থেকে বাঁচতে অন্যদের মতো তার পরিবারটিও নিজ দেশ ছেড়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। আর এ খবর জানার পর বানার সঙ্গে দেখার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গতকাল প্রেসিডেন্ট ভবনে গেলে তিনি বানাকে জড়িয়ে ধরেন। এমনকি বানা ও তার ভাইকে কোলে তুলে নেন এরদোয়ান। এ সময় পাশে ছিলেন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এমিনি। গতকাল বুধবার এএফপির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়। সেখান থেকে ফিরে বানা টুইটার বার্তায় লিখে, ‘মি. এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করে খুব ভালো লাগছে।’তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় বিদ্রোহীরা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর আলেপ্পো থেকে হাজারো সাধারণ মানুষের সঙ্গে বানার পরিবারও সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পায়। গত সোমবার বানা আলেপ্পো ছাড়ে। তখনই তুরস্কের কর্মকর্তারা আশ্বাস দেন যে বানা ও তার পরিবার চাইলে তুরস্কে আসতে পারে। তবে কবে তারা তুরস্কে গেছে, তা জানা যায়নি।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানায়, বানা এরদোয়ানকে বলেছে, ‘আলেপ্পোর যুদ্ধের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি।’এ বিষয়ে এরদোয়ান নিজের টুইটারে লিখেছেন, ‘আজ প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বানা ও তার পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে ভালো লাগছে। তুরস্ক সব সময়ই সিরিয়াবাসীর পাশে আছে।’সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তুরস্ক ২৭ লাখ সিরিয়ার নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। প্রায় ছয় বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে তিন লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার শিশু রয়েছে।আলেপ্পো ছাড়ার আগে বানা তার শেষ টুইটে এরদোয়ান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিল, অস্ত্রবিরতিটা বারবার ভেঙে পড়ছে। আর যেন এমনটা না হয়।কাভুসোগলু টুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা আলেপ্পোর শিশুদের আশার প্রতীক বানাতে এবং তার পরিবারকে আমাদের দেশে নিয়ে আসতে পেরেছি। একটি শিশুর হাসির চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে।’ | 276,273 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২২ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৭ | ২২ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৭ | বাণিজ্য,প্রতিষ্ঠানের খবর | 0 | বিকাশে কেনা যাবে এয়ার এশিয়ার টিকিট | http://www.prothom-alo.com/economy/article/836755 | বিকাশ ও এয়ার এশিয়ার মধ্য সম্প্রতি একটি চুক্তি হয়েছে। এর ফলে বিকাশের গ্রাহকেরা এখন থেকে বিকাশের মাধ্যমে এয়ার এশিয়ার টিকিট কিনতে পারবেন। বিকাশের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা রেজাউল হোসেন এবং বাংলাদেশে এয়ার এশিয়ার জিএসএ টোটাল এয়ার সার্ভিসেসের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোরশেদুল আলম চাকলাদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বিজ্ঞপ্তি | 222,662 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৪৮ | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৪৮ | -1 | 0 | গণিত সমিতির এজিএম স্থগিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/106846 | ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ গণিত সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং নির্বাচনী সভা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ পরে জানানো হবে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ গণিত সমিতির সম্পাদক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। | 38,203 |
কমল জোহা খান, মাওয়া থেকে ফিরে | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:৩৪ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:২১ | পদ্মা সেতু,পদ্মা সেতু প্রকল্প,বাংলাদেশ | null | পদ্মা সেতু ইংরেজি ‘এস’ বর্ণের হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1377391 | শীতের আগমনে এখন বেশ শান্ত পদ্মা। ঢেউ নেই, স্রোত নেই। রোদেলা দুপুরের কিছুটা সময় বাদ দিলে ভোর থেকে রাত—ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পদ্মার দুই পাড়। তবে শান্ত পদ্মার এপার-ওপারে ঝিমুনি নেই; বরং রাত-দিন সব সময় সবার মধ্যে ব্যস্ততা। পদ্মা পাড়ের তিন হাজার শ্রমিকের ব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি। ‘পদ্মা সেতু’ নামের একটি স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে তাঁদের এই ব্যস্ততা। তাঁদের ঘাম-ঝরানো শ্রমে গড়ে উঠছে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু।এরই মধ্যে একটি স্প্যান বসানোয় চোখের সামনে ফুটতে শুরু করেছে পদ্মা সেতু। পদ্মা পাড়ি দেওয়ার সময় অনেকে হয়তো মনে মনে পুরো সেতুটির একটি কল্পচিত্র এঁকে ফেলেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ভাবছেন—পদ্মা সেতুর পথ হবে একেবারে লম্বা। কেউ ভাবছেন বাঁকা। কল্পদৃশ্যে কোনোটিই ঠিক না–ও হতে পারে। কারণ, পদ্মা সেতুর রূপ হবে ইংরেজি ‘এস’ বর্ণের মতো। এমনটিই জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এস’ বর্ণের আদলেই গড়ে তোলা হচ্ছে পদ্মা সেতু। এই বর্ণের মতো করেই একের পর এক স্প্যান বসানো হবে।সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মার বুকে ৪২টি খুঁটি (পিলার) থাকবে। এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব ১৫০ মিটার। খুঁটিগুলোর ওপর মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটি স্প্যান ইস্পাতের তৈরি। সব স্প্যান জোড়া দিয়েই তৈরি হবে পদ্মা সেতু।দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি দীর্ঘ হবে প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার। প্রতিটি স্প্যান ১৫০ মিটার দীর্ঘ, ১২ মিটার প্রশস্ত। এই ১২ মিটারের ওপর কংক্রিটের ২২ মিটারের ডেক বসানো হবে। সেতুর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন।সেতুর প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পানির উচ্চতা যতই বাড়ুক না কেন, পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে পাঁচতলার সমান উচ্চতার যেকোনো নৌযান সহজেই চলাচল করতে পারবে।গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। স্প্যানের বিম তৈরি করা হচ্ছে চীনের শিং হোয়াং দাও নামের একটি শহরে। সেখান থেকে বিমগুলো জাহাজে করে সাগর পাড়ি দিয়ে আনা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বন্দর থেকে সোজা পদ্মার মাওয়া প্রান্তে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আনা হয়। এখানে বিম সংযোজন করে স্প্যান প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন চীনা প্রকৌশলীরা।কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে গত বুধবার দেখা গেল, আরও নয়টি স্প্যান প্রস্তুত হয়ে আছে। এর মধ্যে একটি স্প্যান ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে। সোনালি রঙের স্প্যানটির লোড টেস্ট করানো হয়েছে। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেলে, কয়েক দিন পর ধূসর রঙের প্রলেপ দেওয়া হবে। এরপর ৩ হাজার ৭০০ টন ওজনের একটি ভাসমান ক্রেন দিয়ে মাওয়া থেকে এটি আনা হবে জাজিরা প্রান্তে।তবে ‘এস’ বর্ণের রূপে পদ্মা সেতু হলেও খালি চোখে তাকালে স্প্যানগুলোকে বাঁকা দেখা যাবে না, বোঝাও যাবে না। স্প্যানগুলো দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একই মাপের। কিন্তু খুঁটির ওপর বসালে ‘এস’ বর্ণের মতো হয়ে যাবে স্বপ্নের ওই সেতু।যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু ৫ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। তবে এটি ইংরেজি ‘সি’ বর্ণের মতো একটি বাঁক রেখে নির্মাণ করা হয়েছিল। পদ্মা সেতুটি কেন ‘এস’ বর্ণের মতো করে গড়া হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেকোনো লম্বা সড়ক কিংবা বড় ব্রিজ (সেতু) সোজা হয় না। চাইলেও সেটি করা হয় না। এর কারণ হলো সোজা পথ থাকলে যানবাহনের চালকের ঝিমুনি আসতে পারে। তাঁরা যেন চলার সময় সতর্ক থাকেন, এ জন্য কিছুটা বাঁক দেওয়া হয়। আরেকটি বিষয় হলো সৌন্দর্যবোধ। যে কোনো স্থাপনা ডিজাইনে সৌন্দর্যের ব্যাপার রয়েছে। যমুনা সেতুতে একটি হালকা বাঁক রয়েছে। তেমনি করে পদ্মা সেতু ‘এস’ বর্ণের মতো ডিজাইন করা হয়েছে।’২০১৪ সালের ১৮ জুন মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করে সরকার। তাতে খরচ ধরা হয় ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। তাদের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০১৪ সালের নভেম্বরে। এই কাজের খরচ ধরা হয় ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।পদ্মা সেতুর প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে প্রকল্পের কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে।সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সেতু বিভাগ। সেই পরিকল্পনায় চার বছরে, অর্থাৎ ২০১৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে মূল সেতু ও নদীশাসনের কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।সে লক্ষ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ চলছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘মানুষ টার্গেট (লক্ষ্য) নিয়েই কাজ করে। টার্গেট না থাকলে কোনো কাজ তো হবে না। আমরা চেষ্টা করছি টার্গেটটা পূরণ করার জন্য। এখনো আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আরও কিছুদিন পর বলতে পারব যে আসলে আমরা কী করতে পারি। সময়মতো, নাকি আর কিছুদিন লাগবে, সেটা আর কিছুদিন পর বলতে পারব। চেষ্টা করে যাচ্ছি টাইম ঠিক রাখার জন্য। কিন্তু বলাটা ঠিক না যে শতভাগ পারব, পারব না—কোনোটাই বলতে পারছি না। আরও দুই-চার মাস পর পুনর্মূল্যায়ন করতে পারব যে আমরা আসলে কোথায় আছি।’ | 346,562 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ২০:০৭ | ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ২০:১৯ | -1 | null | খাদিজাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1008803 | স্কয়ার হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট থেকে খাদিজা বেগমকে কেবিন নেওয়া হয়েছে। তবে বিকেল থেকে কম খাবার খাচ্ছেন। খাদিজা বেগমের বাবা মাশুক মিয়া আজ রাতে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।মাশুক মিয়া বলেন, অন্যান্য দিন কথা বললেও আজকে খাদিজা কথা বলছে না। বিকেলে কোনো কিছু খায়নি। তবে খাবার কম খেলেও আগের মতোই তাকাচ্ছে খাদিজা। জোহরের নামাজের পর চিকিৎসকেরা খাদিজাকে দেখে গেছেন। ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।অচেতন খাদিজা বেগম ২৫ অক্টোবর মাশুক মিয়াকে ‘আব্বু’ বলে ডাক দেন। সে সময় খাদিজা তাঁর মাকেও চিনতে পারেন বলে জানান স্বজনেরা। সৌদিপ্রবাসী মাশুক মিয়া তাঁর একমাত্র মেয়ের ওপর হামলার খবর পেয়ে ৬ অক্টোবর দেশে ফেরেন। একই দিনে দেশে আসেন খাদিজার ভাই শাহীন আহমেদ। এখন খাদিজার পাশে আছেন তাঁর বাবা মাশুক মিয়া ও মা মনোয়ারা বেগম। বেশির ভাগ সময়ই মেয়েকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে।৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (ডিগ্রি) ছাত্রী খাদিজা বেগম পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বদরুল আলমের হামলার শিকার হন। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে গত রোববার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। | 259,619 |
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:০১ | ০২ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:১৭ | অপরাধ | 0 | জমি নিয়ে বিরোধে ভাই খুন! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1357036 | চট্টগ্রামের রাউজানে জমি নিয়ে বিরোধে দুই ভাইয়ের হামলায় অপর এক ভাই নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের মধ্যম কদলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মহিম উদ্দিন চৌধুরী (৪৭)।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত ইসহাক মিয়ার ছয় ছেলের মধ্যে মহিম দ্বিতীয়। অন্য ভাইয়েরা তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। এ কারণে গত দুই বছর ধরে তিনি চট্টগ্রাম নগরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। আজ চেয়ারম্যান তাঁকে ডাকলে তিনি বাড়িতে আসেন।কদলপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য মুরাদুল হক চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রথম আলোকে বলেন, মহিম চৌধুরীর সঙ্গে বসতভিটা ও জমি নিয়ে তাঁর ভাইদের বিরোধ ছিল। ভাইদের কাছ থেকে হুমকি পেয়ে মাসখানেক আগে মহিম রাউজান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁদের ভাইদের মধ্যে চলা বিরোধ মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি মহিমকে আমার কার্যালয়ে ডেকেছিলাম। মহিম আমার কাছে আসার জন্য ঘর থেকে বের হলে তাঁর দুই ভাই মান্নান ও জসিম মহিমের ওপর হামলা করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।’রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়াত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযুক্তরা পালাতক থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি। | 343,150 |
বাসস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৪ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৫ | খবর,সরকার | null | নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1082307 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৩তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে আজ বৃহস্পতিবার জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী গতকাল বুধবার তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, বর্তমান বিশ্বের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় ‘বেস্ট থিংক ট্যাংক কনফারেন্স’ হিসেবে বিবেচিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ২০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা যোগ দেবেন। এ ছাড়া সম্মেলনে ন্যাটো, ইইউ, গ্রিন পিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যোগ দেবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ সম্মেলন শুরু হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, উদ্বাস্তু এবং অভিবাসনের মতো বিষয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ এককভাবে রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবিলা করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ একা রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন বলে জানান মাহমুদ আলী। | 294,123 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:১৯ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২২ | ঢাকা বিভাগ,নারায়ণগঞ্জ,রাজনীতি,খবর | 0 | ভোটের আগের রাতে শামীম ওসমানের তৎপরতা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1044333 | নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগের রাতে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে কোনো কোনো ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। তবে কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে চাননি। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে এ সংবাদ লেখার সময় শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের রেস্টহাউসে অবস্থান করছিলেন।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে শামীম ওসমান ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে প্রথমে রাইফেল ক্লাবে অবস্থান করেন। পের নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে যান। ক্লাবের নিরাপত্তাকর্মী রফিকুল ইসলাম ও আবু তাহের বলেন, ‘স্যার দুপুরের দিকে এখানে উঠেছেন। ওনার সঙ্গে অনেক লোক দেখা করছেন।’১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শফিউদ্দিন প্রধান দেখা করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাইয়ের দেখা করে দোয়া নিয়েছি।’ | 276,400 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মে ২০১৪, ০১:৪৭ | ১৩ মে ২০১৪, ০১:৫৮ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,আইন ও বিচার,বিশাল বাংলা | 0 | অপহরণের তিন দিন পর তরুণী উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/215047 | অপহরণের তিন দিন পর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে এক তরুণীকে (২৪) উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে উপজেলার বিবিরহাট এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. ওমর ফারুক প্রথম আলোকে জানান, শুক্রবার সকাল নয়টায় নগরের মুরাদপুর এলাকা থেকে ওই তরুণীকে অপহরণ করে প্রাইভেট কারে করে ফটিকছড়ি নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে তাঁর বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পর অপহরণকারীদের মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। | 72,890 |
খুলনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০৪ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০৫ | খুলনা,বিশাল বাংলা | 0 | পাঁচ ‘দস্যু’ আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1065721 | খুলনার সুন্দরবন-সংলগ্ন দাকোপ উপজেলা থেকে বনদস্যু সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাব। গত রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পানখালী ফেরি ঘাটের পূর্ব দিকে নদীর পাড় থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় সেখান থেকে তিনটি একনলা বন্দুক, একটি করে পাইপগান ও গাদাবন্দুক এবং ২৯টি গুলি উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. মোতাহার হোসেন, রায়ফুল ইসলাম, এনায়েত হোসেন, মো. মিজানুর রহমান ও মো. আনোয়ার শেখ। গতকাল সোমবার র্যাব-৬-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এ এম জাহিদুল কবীর বলেন, ওই পাঁচজন বনদস্যু সামছু বাহিনীর সদস্য। ডাকাতির প্রস্তুতি সময় তাঁদের ধরা হয়। এ ঘটনায় দাকোপ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। | 286,547 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাজশাহী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫৪ | ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:৫৫ | অপরাধ,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | null | রাজশাহীতে ভাস্কর্য উল্টে ফেলা, সন্দেহে সাত ছাত্র | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1149376 | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের গড়া ভাস্কর্য উল্টে ফেলার ঘটনায় সাতজন ছাত্র জড়িত বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ওই ছাত্ররা মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অফিস সহকারী চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের গড়া সব ভাস্কর্য শিক্ষকদের কক্ষের সামনে এবং আশপাশে উল্টে পড়ে থাকতে দেখেন। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটানো হয় বলে ধারণা করা হয়।এর মধ্যে দুজন ছাত্র ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। চারুকলায় নিরাপত্তাজনিত ঘাটতির প্রতিবাদস্বরূপ তাঁরা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তাঁদের ভাষ্য।তবে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থী এ ঘটনার পেছনে সাম্প্রদায়িক শক্তি জড়িত থাকতে পারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, এর আগে কখনো চারুকলার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়নি। কখনো কোনো শিক্ষার্থী এ ধরনের দাবি জানাননি কর্তৃপক্ষের কাছে। সে ক্ষেত্রে যে ছাত্রদের বিরুদ্ধের অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারেন।ভাস্কর্য উল্টে ফেলার ঘটনাটিকে সহজভাবে দেখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও নাট্যকার মলয় ভৌমিক। আজ প্রথম আলোকে তিনি জানান, ঘটনা শুনে আজ বেলা ১১টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁকে দেখে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল তাঁর বক্তব্য নিয়ে সরাসরি সম্প্রচার করে। ওই সময় এক ছাত্র সরাসরি সম্প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বক্তব্য শেষ করে তিনি ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেন। ওই ছাত্রের সঙ্গে আরও দু-তিনজন এসে যোগ দিয়ে তাঁকে জানান, চারুকলায় ভাস্কর্যগুলো অরক্ষিত অবস্থায় রাখার প্রতিবাদে তাঁরা এ কাজ করেছেন।তখন মলয় ভৌমিক ওই ছাত্রদের প্রশ্ন করেন, ‘এক রাতে মাত্র সাতজন মিলে কীভাবে শত শত ভাস্কর্য উল্টে ফেলার কাজ করলে?’ জবাবে ওই ছাত্ররা বলেন, সাতজন নয়, তাঁরা ২০ থেকে ২৫ জন এটা করেছেন।মলয় ভৌমিক বলেন, ‘আমি ওই ছাত্রদের বলেছি, শিল্পের অমর্যাদা করে তোমরা শিল্পের প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েছ? এর আগে মানববন্ধন করেছ? সংবাদ সম্মেলন করেছ? স্মারকলিপি দিয়েছ? এটা কোনো প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। ছাত্ররা সে সময় আমাকে বলে, “তাহলে আপনি আমাদের প্রতিবাদের ভাষা শেখান।” আমি বলেছি, “আমি শিক্ষক, তোমরা ছাত্র—এর বেশি আমি তোমাদের কিছু বলব না। ওই ছাত্ররা একপর্যায়ে আমাকে উপেক্ষা করে সেখান থেকে চলে যায়।’মলয় ভৌমিক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আমরা জানি। দেশে এখন ভাস্কর্য নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেটাও আমরা বুঝতে পারছি। এ পরিস্থিতিতে ঘটনাটিতে কোনোভাবে সহজ করে দেখার সুযোগ নেই। সত্যিই যদি এটা প্রতিবাদ হতো, তাহলে রাতের অন্ধকারে তারা এ কাণ্ড ঘটাত না। ঘটনার পর আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত কেউ কথা বলেনি। হঠাৎ করে কয়েকজন এসে ছাত্রদের মুখপাত্র হিসেবে বলা শুরু করল। এ ঘটনার মাধ্যমে তারা বুঝিয়ে দিল ভাস্কর্য নিয়ে যা খুশি তা-ই করা যায়।’এর আগে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে দুজন ছাত্র গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলী স্বাধীন ও ইমরান আলী সাংবাদিকদের বলেন, চারুকলায় কোনো নিরাপত্তা নেই। যখন-তখন বাইরের লোকজন এখানে ঢুকে পড়ে। এর প্রতিবাদ হিসেবে বিভাগের কয়েকজন মিলে ভাস্কর্য উল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।এ ঘটনায় সাতজন ছাত্র জড়িত বলে দাবি করেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান মোস্তফা শরীফ আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীরা যে কাণ্ড করেছে, তা নিন্দনীয়। ওই সাতজন শিক্ষার্থী বিকৃত মস্তিষ্কের পরিচয় দিয়েছে।’ তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তাঁরা বিভাগে বৈঠক করেছেন। নিন্দা জানিয়েছেন। পরে প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তা অবহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।ভাস্কর্য উল্টে ফেলার ঘটনায় চারুকলা বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা নিন্দা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এ ধরনের কাণ্ড ঘটানোর ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতেন না। এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সমর্থনও নেই।চারুকলা বিভাগের শিক্ষক মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক এবং গ্রাফিকস ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনির উদ্দীন ওই সময় প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের গড়া এ ভাস্কর্যগুলো মাঠে রাখা ছিল। কে বা কারা এক রাতের মধ্যে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। শতাধিক ভাস্কর্য মাঠে উল্টে ফেলে রেখে গেছে। আর কিছু ভাস্কর্য শিক্ষকদের কক্ষের দরজার সামনে রেখে গেছে।আরও পড়ুন... ভাস্কর্য উল্টে ফেলে গেল কারা? | 312,010 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১২:০৭ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১২:৫৬ | রাজনীতি | null | বিএনএফ প্রার্থীদের জন্য নিরাপত্তা দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/96073 | বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) অভিযোগ করেছে, বিভিন্ন স্থানে বিএনএফের প্রার্থীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, নিগৃহীত ও হুমকির শিকার হচ্ছেন।আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনএফের প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ এসব কথা বলেন। দলটির প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।বিএনএফের এই নেতা জানান, দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে ১৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করবে বিএনএফ।প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনই যদি নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আমাকে ডেকে বলুন। বিএনএফের সব প্রার্থীকে ডেকে নিয়ে আমি নির্বাচন বয়কট করব।’সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, মাদারীপুর-২ আসনে সরকারদলীয় প্রার্থী শাজাহান খান, বরগুনা আসনের শম্ভু দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের র আ ম মুক্তাদির চৌধুরী, মাদারীপুর-৩ আসনের বাহাউদ্দিন নাসিম বিএনএফের প্রার্থীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। অনেকে বিএনএফ প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৩১ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন প্রার্থী হুমকির মুখে আছেন বলে দাবি করেন আবুল কালাম আজাদ।সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আরিফ মঈনউদ্দিনসহ প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। | 34,712 |
কাজী এস হোসেন | life-style | জীবনযাপন | ৩০ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫১ | ৩০ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫৪ | মতামত,আপনার রাশিফল,রাশিফল | 0 | আপনার রাশিফল | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/844861 | আজ ৩০ এপ্রিল। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি বৃষ রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৩ ও ৬। গুরুত্বপূর্ণ দিন বৃহস্পতি ও শুক্রবার। শুভ রং—হলুদ, সাদা, মেরুন। শুভ রত্ন—গোল্ডেন টোপাজ, রুবি। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—অভিনেতা রবার্ট শ, কুনাল লাইয়ার, হল্যান্ডের রানি জুলিয়ানা। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)দূরের যাত্রায় অচেনা সহযাত্রীর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। বাড়িতে আজ বিশিষ্ট মেহমানের আগমন ঘটতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাবেন। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)ফাটকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। পাওনা আদায় হবে। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)বেকারদের কারও কারও বিদেশযাত্রার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য আজ সুখবর অপেক্ষা করছে।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া সুসংবাদ দিয়ে। আপনার প্রেমিক মন আজ তার ঠিকানা খুঁজে পাবে। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে। সৃজনশীল কাজের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)বেকারদের কেউ কেউ আজ নতুন কাজের সন্ধান পেতে পারেন। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি শুভ। ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। দূরের যাত্রা শুভ।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার অনুকূলে যেতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাবেন।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)বেকারদের কারও কারও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত হতে পারেন। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য আপনার প্রেমিক মনকে উসকে দিতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)চাকরির জন্য বিদেশে আবেদন করে কেউ কেউ ইতিবাচক সাড়া পেতে পারেন। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। পেশাগত দ্বন্দ্বের অবসান হবে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। আজ কারও কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। দূরের যাত্রা শুভ। রাজনীতিতে আপনার অবস্থান সুদৃঢ় হতে পারে।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। প্রেম-বিষয়ক জটিলতার অবসান হবে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার অনুকূলে যেতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ শুভ।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানো উচিত হবে না। আপনার প্রেমিক মন আজ তার ঠিকানা খুঁজে পাবে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)শিক্ষার্থীদের কারও কারও বিদেশে অধ্যয়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে। আপনার প্রেমিক মন আজ তার ঠিকানা খুঁজে পাবে। দূরের যাত্রা শুভ। | 225,074 |
-1 | sports | খেলা | ১২ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৪ | ১২ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৫ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | বিদায়ী সম্মান | http://www.prothom-alo.com/sports/article/71737 | মহানায়ক বিদায় নিচ্ছেন। আর সেই উপলক্ষে তাঁকে সম্মান জানানোর হিড়িক পড়ে গেছে। বুঝতেই পারছেন, শচীন টেন্ডুলকারের কথাই হচ্ছে। অনেকেই অনেকভাবে সম্মান জানাচ্ছেন। ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট মুসাফির ডট কম সেটা জানাচ্ছে একটু অন্যভাবে। তারা এবার মুম্বাইয়ের বিদায়ী টেস্টের দর্শকদের জন্য ট্যাক্সিক্যাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০০টি ক্যাব ছেড়ে যাবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের উদ্দেশে। এবং সে জন্য যাত্রীদের কোনো টাকা গুনতে হবে না। ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা, টেন্ডুলকার নিজেই এই ওয়েবসাইটের দূত। ওয়েবসাইট। | 27,423 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৫৭ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৩২ | অপরাধ,বিএনপি,পুলিশ,রাজনীতি | null | নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মহিলা দলের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ১১ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1568345 | নাশকতার বিভিন্ন মামলায় ঢাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) হাজির করা হয়।পুলিশ ও আদালত সূত্র বলছে, শাহবাগ থানার নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) মহিলা দলের সভাপতি রাজিয়া আলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার এ মামলায় রাজিয়া আলিমের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আদালতের পরোয়ানা পেয়ে রাজিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মামলার নথিতে বলা হয়েছে, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ১৮ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ছিল। সেদিন দুপুরে হাইকোর্টের ভেতর থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে রাস্তার দিকে আসতে থাকেন। পুলিশ মিছিল নিয়ে রাস্তায় না আসার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে আসামিরা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ তদন্ত করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব–উন–নবী খান সোহেলসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গত ১৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পলাতক থাকায় আদালত এ মামলায় রাজিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।পুলিশ সূত্র বলছে, ওয়ারী থানার নাশকতার মামলায় সবুজবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনসহ (৬৬) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দুই আসামি হলেন খিলগাঁওয়ের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি হালিম (৬২) ও সবুজবাগ থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব আশরাফুজ্জামান খান লিটন (৫০)।এ তিনজনকে আদালতে হাজির করে ওয়ারী থানা-পুলিশ পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গতকাল রাতে ওয়ারী থানার টিপু সুলতান রোড এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর ওয়ারী থানার জয়কালী মন্দির রোডের ওসমানী ইন্টারন্যাশনালের সামনে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা একত্র হয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করেন। আসামিরা জননিরাপত্তা বিঘ্ন করার জন্য সেখানে একত্র হয়েছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। পরে আদালত রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেন।এ ছাড়া ঢাকার উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, উত্তরখান, বনানী, মোহাম্মদপুর, রূপনগর, শাহজাহানপুর, রামপুরা ও সবুজবাগ এলাকা থেকে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও সাতজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের আজ ঢাকার আদালতে তোলা হয়। | 384,774 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪, ২০:১৭ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪, ২০:১৮ | -1 | null | ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলায় নির্বাচন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/125863 | প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা পরিষদে প্রথম দফায় নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ওই নির্বাচন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।আজ শনিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।সিইসি বলেন, ‘অনেকগুলো উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেগুলোর নির্বাচন করার সময় এসে গেছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি কতগুলোর মেয়াদ শেষ হবে। কাজেই সেগুলোতে নির্বাচনের একটা বাধ্যবাধকতা আছে।’ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমরা মিটিং করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় নির্বাচন করা যৌক্তিক হবে কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এসএসসি পরীক্ষাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানান তিনি। | 44,266 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৩ আগস্ট ২০১৩, ১২:০৫ | ২৩ আগস্ট ২০১৩, ১২:০৭ | হলিউড | null | দরদামে আসক্ত ব্রুস উইলিস! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/41436 | মাঝেমধ্যেই পশ্চিমা অনেক তারকাই খবরের শিরোনাম হন বাহুল্য খরচ কিংবা বিলাসিতার কারণে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিরল নজিরই স্থাপন করলেন ‘ডাই হার্ড’ তারকা ব্রুস উইলিস। নিজেকে দরদামে আসক্ত বলেই দাবি করলেন ৫৮ বছর বয়সী হলিউডের এ তারকা অভিনেতা।
সম্প্রতি ব্রিটিশ একটি ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ব্রুস বলেছেন, দরদাম করে জিনিসপত্র কেনার লোভ কোনোভাবেই সামলাতে পারেন না তিনি। এ জন্য প্রায়ই তিনি ছুটে যান ‘কস্টকো’ কাট-প্রাইস স্টোরের বিভিন্ন শাখায়। কারণ সেখানে দরদাম করে সস্তায় জিনিস কেনার সুযোগ রয়েছে। এক খবরে মজার এ তথ্য জানিয়েছে কন্ট্যাক্টমিউজিক।
এ প্রসঙ্গে ব্রুসের ভাষ্য, ‘অদ্ভুত শোনালেও আমি কস্টকোর বিশাল একজন ভক্ত। প্রায়ই আমি এর বিভিন্ন শাখায় ঢুঁ মারি। বিশাল ট্রলিতে একের পর এক জিনিস ভরে কাউন্টারে নিয়ে যাই। অনেক সময় প্রয়োজন নেই—এমন জিনিসও কিনে ফেলি। কস্টকোকে আর্ট মিউজিয়াম বলেই মনে হয় আমার কাছে।’ | 11,171 |
যশোর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:০২ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:০৩ | অপরাধ | 0 | নড়াইলে ছুরিকাঘাতে আ.লীগ নেতা খুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1072589 | নড়াইলে আওয়ামী লীগের নেতা প্রভাষ রায় (৪৬) দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। প্রভাষ রায় নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। গতকাল বুধবার রাতে নড়াইল সদর উপজেলার মীরাপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। প্রভাষ রায় নড়াইল সদর উপজেলার মীরাপাড়া গ্রামের রতন রায়ের ছেলে।হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান, তাঁর ছেলে আশিকুর রহমানসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। নড়াইল সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। | 289,439 |
-1 | opinion | মতামত | ১৫ মার্চ ২০১৫, ০০:০৭ | ১৫ মার্চ ২০১৫, ০০:০৮ | চিঠিপত্র,মতামত | 0 | শিশুদের নিরাপদ জীবন | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/476851 | ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। এদিন যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে শিশু দিবস পালন করা হয়, তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাদের জন্য নিরাপদ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ কত দূর, তা আমাদের কাছে সত্যিই দুরাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ দেশে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ ৪৪ হাজার। এসব পথশিশুর প্রায় ৪৪ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত এবং রাতে ঘুমানোর মতো বিছানা নেই ৪১ শতাংশ শিশুর। এই সমাজ শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না, পারছে না তাদের স্বাভাবিক বিকাশের পরিবেশ উপহার দিতে। আসলে আমরা যে অসুস্থ সমাজে বসবাস করছি, তাদের জন্য বাসযোগ্য সমাজ গড়ে তুলতে হলে সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। আর তখনই শিশু দিবস সার্থক হবে।মোহাম্মদ ইয়ামিন খানশ্যামলী, ঢাকা। | 123,350 |
-1 | opinion | মতামত | ২০ মে ২০১৪, ০০:০৫ | ২০ মে ২০১৪, ০০:০৫ | মতামত,সম্পাদকীয়: | 0 | কী নিয়ে আসছে বাজেট | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/220357 | আরেকটি বাজেটের সময় ঘনিয়ে এসেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংসদে আগামী ৫ জুন উপস্থাপন করবেন। সম্ভাব্য প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার এই বাজেটে আগামী পঁাচ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচির রূপরেখা অর্থমন্ত্রী প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন। এটাকে তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আভাস হিসেবে গণ্য করাতে চান।বস্তুত, নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সহিংসতায় গত বছর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আর নির্বাচনের পর পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীদের কাছে মধ্যমেয়াদি স্থিতিশীলতার বিষয়ে দ্বিধা রয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী বাজেটের মাধ্যমে স্থিতিশীলতার বার্তা দিতে যাচ্ছেন বলে জানালেন। এটা তিনি কতটা করতে পারবেন, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে। তবে তিনি যদি সত্যিই তা করতে চান, তাহলে তাঁকে অবশ্যই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে ও এই বাজেটের মাধ্যমেই তার নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিতে হবে।প্রথমত, উন্নয়নের জন্য সম্পদ আহরণে বা রাজস্ব আদায়ে প্রত্যক্ষ করের আওতা বাড়াতে হবে। যঁারা নিয়মিত আয়কর প্রদান করেন, শুধু তাঁদের ওপর চাপ বাড়িয়ে, যে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী আয়করের আওতার বাইরে আছে ও কর ফঁাকি দিচ্ছে, তাদের করজালে নিয়ে আসতে হবে। ১৫ কোটি মানুষের দেশে কর শনাক্তকারী নম্বর বা টিআইএনধারীর সংখ্যা মাত্র ১৭ লাখ। এর মধ্যে আবার সক্রিয় ১১ লাখ। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আবার প্রকৌশলী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর অনেকেই ঠিকমতো আয়কর দেন না। একাধিক বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকের টিআইএনই নেই। সুতরাং, তঁাদের কাছ থেকে ঠিকমতো কর আদায় করা সরকারের দায়িত্ব। ব্যাংকের মাধ্যমে বাড়িভাড়া প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ বাজেটে এ রকম কিছু পরিকল্পিত উদ্যোগ থাকা জরুরি। দরকার সম্পদ-সম্পত্তির ওপর করারোপের।দ্বিতীয়ত, সম্পদ বণ্টনের ন্যায্যতার দিকে নজর দিতে হবে। এখনো বিপুল পরিমাণ গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর নামে যে প্রতীকী অর্থ তাদের দেওয়া হয়, তা সমুদ্রে গোষ্পদ তুল্য। তাদের জন্য অর্থবহ বরাদ্দ দিতে হবে, অর্থবহ ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণ এবং মা ও শিশুর পুষ্টি প্রাপ্তির জন্য যৌক্তিক বরাদ্দ দিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।তৃতীয়ত, রেল ও সড়ক অবকাঠামো বিনির্মাণে ও রক্ষণাবেক্ষণে মনোযোগ দেওয়া। অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে বাজেটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ গুরুত্ব পাবে। আসলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই বাজেটের যথার্থতা দৃশ্যমান হয়।চতুর্থত, ন্যায়সংগত কিছু পদক্ষেপ রাষ্ট্র ও সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য জরুরি। আর তাই সাংসদদের দাবির মুখে থোক বরাদ্দ দিয়ে অপচয়ের সুযোগ সৃষ্টি না করা, কালোটাকা সাদা করার অবাধ সুযোগ না দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদপত্রের জন্য নিউজপ্রিন্টের শুল্ক ও মূসক কমানোর সিদ্ধান্ত বাজেটে প্রত্যাশা করা অযৌক্তিক বিবেচিত হয় না। | 74,751 |
ফখরুল ইসলাম, ঢাকা | economy | অর্থনীতি | ০৯ জুলাই ২০১৮, ১২:৩০ | ০৯ জুলাই ২০১৮, ১২:৩৬ | বাণিজ্য সংবাদ | null | যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় আসা বাড়ছে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1528526 | • ডলারের মূল্য বৃদ্ধি• যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বছরে প্রবাসী আয় বেশি এসেছে ৩০ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসা বাড়ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরে এসেছিল ১৬৮ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার।সে হিসাবে এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় বেশি এসেছে ৩০ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। প্রতি ডলার ৮৩ টাকা ধরে হিসাব করলে তা দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৬১ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যে এ হিসাব জানা গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মাসওয়ারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে কম ১৩ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার বাংলাদেশে এসেছিল গত সেপ্টেম্বর মাসে। আর সবচেয়ে বেশি ২০ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ডলার আসে জুন মাসে।তবে দেশওয়ারি প্রবাসী আয় আসায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তৃতীয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখনো সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাঠান সৌদি আরব থেকে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। চতুর্থ মালয়েশিয়া ও পঞ্চম কুয়েত। এ ছাড়া ষষ্ঠ ওমান, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম কাতার, নবম ইতালি ও দশম স্থানে আছে বাহরাইন।আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির বিষয়টি ভালো খবর। এক বছরে একটি দেশ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা বেশি আসা কম কথা নয় এবং সে দেশটি যদি হয় যুক্তরাষ্ট্র। আশা করছি, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে দেশটি থেকে আরও বেশি প্রবাসী আয় আসবে।’প্রবাসী আয় আসায় শীর্ষ ৩০টি দেশের যে তালিকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, তাতে দেখা যায়, ৩০তম অবস্থান চীনের। গত অর্থবছরে চীন ছিল ২৮তম স্থানে, সে বছর দেশটি থেকে ১ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। এই অর্থবছরে ২৯তম সাইপ্রাস, ২৮তম সুইডেন, ২৭তম হংকং ও ২৬তম স্থানে আছে ব্রুনেই।তালিকায় দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে মালদ্বীপ থেকে। দেশটির অবস্থান ২৫তম। তালিকা অনুযায়ী ২৪তম অবস্থানে আছে জাপান। গত অর্থবছরে জাপান থেকে এসেছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। তবে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে লেবানন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসছে।এদিকে ব্যাংকওয়ারি একটি হিসাবও আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এতে দেখা যায়, শুধু গত জুন মাসে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ১৩ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এনে সোনালী ব্যাংক দ্বিতীয়। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ইসলামী ব্যাংক।অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামস-উল-ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দেশে তাঁদের স্বজনদের সুবিধার দিক চিন্তা করে সব সময় সতর্ক থাকে অগ্রণী ব্যাংক। এ জন্য শুধু জুন মাসে নয়, গোটা অর্থবছরেই রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান প্রথম।’বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৭৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে বেশি এসেছে ২২১ কোটি ডলার। যদিও দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে। | 369,855 |
গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফ থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৩৬ | ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৩৮ | টেকনাফ,চট্টগ্রাম বিভাগ,রোহিঙ্গা সমস্যা | null | সমঝোতার পরদিন এল আরও ১৩২০ রোহিঙ্গা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1372951 | রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সইয়ের পরদিন গতকাল শুক্রবার নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে ঢুকেছে আরও ১ হাজার ৩২০ জন। গত এক সপ্তাহের মধ্যে টেকনাফে সর্বোচ্চসংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশের ঘটনা এটি। এদিকে টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন শিবিরের রোহিঙ্গা নেতারা মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়া নিয়ে খুশি হলেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে তাঁরা তেমন আশাবাদী নন। মিয়ানমারকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা বোকামি হবে বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বৈঠক হয়। এরপরই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা অনুযায়ী আগামী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমঝোতা সই হওয়ার দিনও ভেলা ও নৌকায় করে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে এসেছিল ১ হাজার ১১২ রোহিঙ্গা।প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গতকাল পালিয়ে আসা ৩৬৩টি পরিবারের ১ হাজার ৩২০ রোহিঙ্গাকে শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয় বলে জানান উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির। তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ত্রাণকেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ দিয়ে তাদের উপজেলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠান তাঁরা। এক সপ্তাহের মধ্যে টেকনাফে গতকাল সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা এসেছে।অবশ্য উখিয়া সীমান্ত দিয়ে গতকাল রোহিঙ্গা প্রবেশ করেনি বলে জানান কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইকবাল আহমেদ। এর আগে ১৯ নভেম্বর উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৬৪৭ জন রোহিঙ্গা এসেছিল। উখিয়া সীমান্ত দিয়ে এখন রোহিঙ্গা আসা প্রায় বন্ধ বলে জানান তিনি।সমঝোতা নিয়ে সন্দিহান রোহিঙ্গা নেতারাউখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন প্রথম আলোকে বলেন, অং সান সু চি শুরু থেকে বলে আসছিলেন রাখাইনে কোনো নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কারণ খুঁজে দেখবেন তিনি। চাপে পড়ে এখন সমঝোতা করেছেন তিনি। বালুখালী শিবিরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, মিায়ানমার চালাচ্ছে আসলে সেনাবাহিনী। তারা না চাইলে কোনো রোহিঙ্গা নিজ দেশে ফিরতে পারবে না।বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপে পড়ে মিয়ানমার এই সমঝোতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকের মাঝি (রোহিঙ্গা নেতা) আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, সমঝোতা সইয়ের অর্থ রাখাইনে অত্যাচার-নিপীড়নকে স্বীকার করে নেওয়া। তবে সমঝোতার মাধ্যমে মিয়ানমার কালক্ষেপণ করার কৌশল নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের সভাপতি আবদুল হাফেজ বলেন, ঘরবাড়ি, জায়গাজমি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি সমঝোতায় থাকতে হবে। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন দেখতে চান তাঁরা। তিনি বলেন, তাঁরা নিজ দেশে ফিরে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চান।টেকনাফের লেদার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা আবদুল মতলব বলেন, এর আগেও অনেকবার তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিল মিয়ানমার। কিন্তু তারা কথা রাখেনি। এই রোহিঙ্গা নেতা ২০১২ সালে বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু তাঁর পরিবার এসেছে গত অক্টোবর মাসে। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার কবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। রাখাইনে গিয়ে নিজ ভিটেমাটি ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা চান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। নিজ দেশে যেতে পারলে তারা খুশি হবে।লেদার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বলেন, মিয়ানমারে ফেরত গেলে রোহিঙ্গাদের ওপর আর নির্যাতন করা হবে না, সবার আগে এই নিশ্চয়তা চান তাঁরা। নির্যাতনের কারণে ১৯৯২ সালে প্রথম দেশ ছেড়ে মা-বাবার সঙ্গে যুবক বয়সে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর পর প্রত্যাবসন প্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁরা মিয়ানমারে ফিরে যান। দেশে তাঁদের ৮৩ একর জমি ছিল। কিন্তু ফিরে গিয়ে জমি ফেরত পাননি। এরপর নির্যাতনের মুখে ২০১২ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে যাওয়ার আগে জমি ফেরতের নিশ্চয়তা চান তিনি। | 345,895 |
নিজস্ব প্রতিবেক, সিলেট | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ জুলাই ২০১৪, ০০:২৭ | ০৮ জুলাই ২০১৪, ০০:৫৫ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা | null | এক কাতার, এক খাবার সবার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/261466 | সবাই এক কাতারে। খাবারও সবার একই, আখনি কিংবা ভুনা খিচুড়ি। রমজান মাসজুড়ে ইফতার আর সেহ্রি পর্বে সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহে এ আয়োজন থাকে প্রতিবার। মাজারভক্ত নারী-পুরুষেরা ইফতার বা সেহ্রিতে শামিল হন দরগাহে। সবার পরিচয়—মুসাফির। প্রায় ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মুসাফিরদের জন্য এমন আয়োজন এখনো চলছে।দরগাহের অভ্যর্থনা দপ্তর থেকে জানা গেছে, রোজার মাসে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ নারী-পুরুষের ইফতার তৈরি হয় এখানে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার আয়োজন থাকে দ্বিগুণ। এই ইফতার শুধু বিতরণ করা হয় সিলেটের বাইরে থেকে আসা মুসাফিরদের জন্য। ইফতারের প্রায় আধা ঘণ্টা আগে থেকে মাজারের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকেরা মুসাফিরদের মধ্যে টোকেন বিতরণ করেন। টোকেন দেখিয়ে ইফতার নিয়ে মুসাফিরেরা নির্ধারিত স্থানে বসেন। মাজারের নারী ইবাদতখানার ভেতরে নারীরা ও ওপরে পুরুষেরা ইফতার করেন।দরগাহ মসজিদেও ইফতার করেন নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি—সবাই বসেন এক কাতারে, একসঙ্গে। মসজিদের ভেতরের রোজাদারদের ইফতারের ব্যবস্থা মাজার কমিটি করে না। রোজাদারদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা ইফতার ভাগাভাগি করে খাওয়া হয় মসজিদের ভেতর। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন স্থান থেকেও লোকজন ইফতার পাঠান সেখানে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক রোজাদার ইফতার করেন হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহে।সিলেটে ইফতার আয়োজন সাদামাটা। এর মধ্যে রকমফের আছে। ঘরোয়া পরিসর হলে ভুনা কিংবা পাতলা খিচুড়ি। আর মেহমানদারিতে আখনি। ইফতারে এ দুটি পদই সিলেটিদের সবচেয়ে প্রিয়। খেজুর, শরবত, ছানা, পেঁয়াজুসহ নানা পদের ইফতারি থাকলেও আখনি-খিচুড়ি থাকবেই। ইফতারিতে এ দুটি পদই সিলেটিদের সবচেয়ে প্রিয়।তবে বর্তমানে বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিলেটের বাজারে নানা উপাদেয় ও বৈচিত্র্যময় ইফতারসামগ্রী বাজারজাত করছে। নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় দুপুর থেকেই ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায়। সিলেটের বাইরে ইফতারিতে ছানা, পেঁয়াজুর সঙ্গে মুড়ি আবশ্যক অনুষঙ্গ। কিন্তু সিলেটিদের কাছে এটি একেবারে অচল। এ অঞ্চলে আখনি কিংবা খিচুড়ি ছাড়া ইফতারের কথা চিন্তা করাই যায় না। তার সঙ্গে ছানা ভুনা থাকবেই।দরগাহের অন্যতম খাদেম মুজাহিদ হোসেন জানান, ইতিহাস থেকে জানা গেছে, হজরত শাহজালাল (রহ.) রমজান মাসে তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে একসঙ্গে বসে ইফতার করতেন। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর অনুসারীরা একইভাবে ইফতার করতেন। সেই ঐতিহ্যে ইফতার করার জন্য প্রতিদিন নগর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসেন।ইফতার করতে আসা সিলেটের ওসমানীনগরের আরাফাত মিয়া জানান, প্রতিবছর অন্তত একবার হলেও তিনি ইফতার সারেন দরগাহে। দরগাহে ইফতার করাকে ‘বাবা শাহজালালের বাড়ির ইফতার’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। | 75,983 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ এপ্রিল ২০১৪, ২২:০২ | ১০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৩১ | -1 | null | ঢাকা বোর্ডের কালকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/188497 | প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, অনিবার্য কারণে শুধু ঢাকা বোর্ডের এই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, ফাঁস হওয়া দুই সেট প্রশ্নপত্র তাঁদের কাছে আসে। পরে সেগুলো মিলিয়ে দেখা যায় মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। এজন্য এই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।বিভিন্ন মহল থেকে আজ সারা দিনই অভিযোগ আসতে থাকে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে সেগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম আলোর কাছেও এ ধরনের খুদে বার্তা আসে। শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছেও বিষয়টি যায়। পরে পরীক্ষা বাতিল হয়।অভিযোগ আছে, এর আগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র ব্যাপকভাবে ফাঁস হয়।এর আগে গত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। যদিও তদন্ত করে ঢাকা বোর্ড প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছিল। পাশাপাশি গত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। তখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছিল। | 64,422 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জুলাই ২০১৩, ০১:৫৫ | ২৯ জুলাই ২০১৩, ০১:৫৭ | বিশাল বাংলা | 0 | একনজরে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/31342 | পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকুড়িগ্রামের উলিপুরের বিচ্ছিন্ন দুটি ইউনিয়নের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলার সাহেবের আলগা ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নামাজের চরে গত শনিবার কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার কুণ্ডু। এই দুটি ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নদীপথে এসে ডাকাতেরা মানুষের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এখানে দুজন এসআই, দুজন এএসআই ও ১৬ জন কনেস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। l উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি শিশু আটকমাদারীপুরের কালকিনি থানার মোড়ে গত শনিবার বিকেলে পকেট মারার সময় জহির (৭) নামের এক শিশুকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে শিশুটিকে মাদারীপুর শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা জানান, যেহেতু এটা কিশোর অপরাধ, তাই শিশুটিকে আইনের আওতায় না এনে সংশোধনের জন্য মাদারীপুর শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। l কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি কলেজছাত্রের মৃত্যুময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভালুকজান বাজার এলাকায় গতকাল রোববার সুজন মিয়া (১৭) নামের এক কলেজছাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। সুজন উপজেলার ভালুকজান গ্রামের মো. সুলতানের ছেলে। সে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। l ময়মনসিংহ অফিস বাস চালুফেনীর পরশুরাম থেকে ‘পরশুরাম-ঢাকা রুটে’ বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। গতকাল রোববার পরশুরাম উপজেলা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন হাজারী। এ সময় পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক, পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আহমঞ্চদ খান, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। l নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী | 6,015 |
নাদিয়া নাহরিন | life-style | জীবনযাপন | ০২ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩৫ | ০২ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩৮ | নকশা,সম্পর্ক | 0 | বন্ধু তোমার জন্য | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/932869 | তিন অক্ষর মিলে একটি শব্দ, যা বলার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা একধরনের স্বস্তি পেয়ে যাই। বন্ধু। বয়স-সময়–স্থান সব ছাপিয়ে এই শব্দটি আমাদের প্রত্যেকের কাছেই খুব পরিচিত। বন্ধু শব্দটি যেন খুব কাছের।জীবনের লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার সময়টাতে আমরা এমন কিছু মানুষকে পেয়ে যাই। এই মানুষেরা আমাদের চলার পথে উৎসাহ জোগায়, কখনো বিষণ্ন মনটাকে সতেজ করে তোলে, আবার কখনো তাকে আঁকড়ে ধরে সাহস পাওয়া যায়। পরিবারের পরেই আমরা যেন সবচেয়ে বেশি স্বস্তিবোধ করি বন্ধু নামক মানুষটার কাছে। বিশ্বে প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববার পালন করা হয় এই বন্ধু দিবস। তার মানে এবারে ৭ আগস্ট পালিত হচ্ছে বন্ধু দিবস। বন্ধু দিবস উপলক্ষে প্রিয় বন্ধুর জন্য কী করবেন ভেবেছেন? এই দিবস উপলক্ষে আপনার কাছের বন্ধুকে দিতে পারেন তার পছন্দের উপহার। যে মানুষকে সবসময় পাশে পেয়ে যাই, সেই মানুষের জন্য ছোট্ট একটা উপহার না নিলেই যেন নয়।বন্ধু দিবসের ভিন্ন উপহারসাধারণত এই দিনে বন্ধুকে উপহার হিসেবে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড, কার্ড, শো পিস, ফুল কিংবা চকলেট দেওয়ার রীতিটাই যেন বেশি। এগুলো ছাড়াও কিন্তু আপনি ভিন্ন কিছু উপহার দিতে পারেন বন্ধুটিকে। হয়তো আপনার বন্ধুটি বইয়ের জগতে বিচরণ করতে পছন্দ করেন কিংবা বন্ধুর আগ্রহ রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের টি-শার্টের প্রতি। সে হিসেবেও বেছে নিতে পারেন বন্ধুর উপহার। নিউ মার্কেটের হলমার্কে কথা হয় ক্রেতা নওশীন জাহানের সঙ্গে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ছেন। কী ধরনের উপহার কিনছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের উপহার সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু সবার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন, আমার প্রিয় বন্ধু কী পছন্দ করেন। যাঁর জন্য এই উপহার তাঁর পছন্দ ও আগ্রহের জায়গা থেকেই আমি উপহার বেছে নিই।’বইবন্ধুর জন্য সবচেয়ে ভালো উপহার হলো বই। আর বন্ধু যদি হয় বইপোকা, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই চলে যেতে পারেন বইয়ের দোকানে। তবে এ ক্ষেত্রে জেনে নিন কী ধরনের বই বন্ধুর পছন্দ। কেউ হয়তো কবিতার বই পছন্দ করেন কিংবা কারও হয়তো ভ্রমণকাহিনি। আবার কারও পছন্দের লেখক থাকেন। সেই হিসেবে বইয়ের রাজ্য থেকে বন্ধুর পছন্দের বইটি বেছে নিন। নীলক্ষেত, বাংলা বাজার কিংবা আজিজ সুপার মার্কেটেই পেয়ে যাবেন বিভিন্ন বইয়ের দোকান। সেখান থেকে বইখানা কিনে সুন্দর একটি মোড়কে জড়িয়ে বন্ধুকে উপহার দিন।টি-শার্ট অথবা ফতুয়াবন্ধু দিবস সামনে রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস নিয়ে এসেছে ভিন্ন আঙ্গিকের টি-শার্ট ও ফতুয়া। মূলত কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে তরুণ বয়সের জন্যই এই পোশাক। ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য বিভিন্ন প্রিন্টের এ রকম পোশাক পাবেন কে ক্র্যাফট, অঞ্জন’স, সাদাকালোসহ ফ্যাশন হাউসগুলোয়। এ ছাড়া ছেলেদের টি-শার্ট পাবেন আজিজ সুপার মার্কেট ও নিউ মার্কেটে।আরও কিছু টুকটাকএ তালিকায় সবার আগে প্রথমেই চলে আসবে মগের কথা। অনেক বন্ধুই থাকেন যাঁদের বাড়িতে বিভিন্ন আকৃতি, রং ও ছাপার নিত্যনতুন মগ শোভা পায়। তাঁদের জন্য বেছে নিন এই উপহারটি। হলমার্ক, আর্চিজসহ গিফট শপগুলোয় পাবেন এমন ধরনের মগ। এ ছাড়া বসুন্ধরা, নিউ মার্কেটেও একটু ঘুরলেই পেয়ে যাবেন সিরামিক, মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের মগ। এ ধরনের মগের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ১০০০ টাকা। এ ছাড়া ফটোফ্রেম, চাবির রিং, ভিন্ন ডিজাইনের পেনড্রাইভ, মানিব্যাগ, মেকআপের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছুও উপহার দিতে পারেন।বন্ধুকে নিয়ে বেড়িয়ে আসুনএ ছাড়া দিনটি প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে স্মরণীয় করে রাখার জন্য একটু ভিন্নভাবেই উদ্যাপন করলেন না হয়। বন্ধুটিকে নিয়ে ঘুরে আসুন নিজেদের কোনো পছন্দের জায়গা থেকে। আর যে বন্ধুর জন্য এত পরিকল্পনা, তাকে উপহার দিন নিজের কিছুটা সময়। এই উপহারটিই বন্ধুর কাছে হয়তো হয়ে যাবে সবচেয়ে মূল্যবান। | 245,799 |
মনোয়ারুল ইসলাম | education | শিক্ষা | ০৮ আগস্ট ২০১৪, ০০:০১ | ০৮ আগস্ট ২০১৪, ০০:০১ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি ১ম পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/285202 | Guided Writingপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি ১ম পত্রের PART-C : Guided Writing অংশের ১১ ও ১২ নং প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো।A B C D(i) It saw from a long journey.(ii) Here and there came back desolate he turned them out.over the grass(iii) Every afternoon as the became the children playing in the giant's garden.in the garden(iv) One day the giant stood a large, lovely garden with soft green grass.(v) When he was from school, they used like stars.to go and play(vi) The garden children were coming beautiful flowers soon.Set-411. Match the phrases in the following substitution table to make six sensible sentences. 1212. Re-write the sentences in the proper order to make a continuous paragraph: 14i) The lion was relieved of his pain.ii) To escape torture, one day he fled from his master's house.iii) It was unbearable for him.iv) He took the lion's paw in his hand and removed a big thorn from it.v) He used to inflict heavy torture on him.vi) The merchant sold him to a rich man in another country.vii) Unfortunately he was caught by a slave merchant.viii) The lion seemed wounded as he was groaning.ix) A lion lived in a cave.x) He came near the lion.xi) He took shelter in a cave.xii) In the evening the lion entered the cave.xiii) The man was very rude and cruel. N. i, ii I iiixiv) Once there lived a young man named Androcles.Ans. to the Ques. No. Set-411. (i) It was a large lovely garden with soft green grass. (ii) Here and there over the grass stood beautiful flowers like stars. (iii) Every afternoon as the children were coming from school, they used to go and play in the giant’s garden. (iv) One day the giant came back from a long journey. (v) When he saw the children playing in the garden, he turned them out. (vi) The garden became desolate soon.12.1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14xiv vii vi xiii v iii ii xi ix xii viii x iv iসহকারী অধ্যাপক, ঢাকা স্টেট কলেজ, ঢাকা | 83,496 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ জুন ২০১৮, ১৪:১৯ | ১৩ জুন ২০১৮, ১৪:২০ | -1 | 0 | ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৫ দিন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1509101 | শবে কদর ও ঈদ উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে টানা পাঁচ দিন সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক স্টেশনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ১৮ জুন সোমবার থেকে আবারও যথারীতি কার্যক্রম শুরু হবে। তবে এ সময় পাসপোর্ট যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করতে পারবে।ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার রেজাউল হক জানান, শুল্ক স্টেশন খোলা থাকলেও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটির সঙ্গে আরও একদিন বাড়িয়ে পাঁচ দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, এ পাঁচ দিনে ভোমরা কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করতে পারবেন।ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন এবং ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথ আলোচনা করে পাঁচ দিন উভয় দেশের বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।। | 367,182 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মে ২০১৪, ০১:৪৩ | ১৩ মে ২০১৪, ০১:৪৩ | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | লুণ্ঠনের সংস্কৃতি বর্জন করতে হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/214975 | সমান অধিকার ভোগ করতে হলে ন্যায় ও ন্যায্যতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সবার সদিচ্ছা ও জবাবদিহি থাকতে হবে। দুর্নীতি না করার সংস্কৃতি লালন করতে হবে। শুধু উন্নয়ন করলেই হবে না। জাতীয় উন্নয়নে সবার সম-অংশীদারত্ব ও ভোগের সুযোগ থাকতে হবে। লুণ্ঠনের সংস্কৃতি বর্জন করতে হবে।গতকাল সোমবার সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে স্বদেশ এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত সাতক্ষীরা জেলার ‘উন্নয়ন অন্বেষণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।সভায় বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী সুপ্রিয় চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ িখষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, জেলা ন্যাপের সভাপতি কাজী সাইদুর রহমান প্রমুখ। সভায় সাংবাদিক, শিক্ষক, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। | 72,900 |
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০২:০৩ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০২:০৩ | শেরপুর,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ | 0 | শেরপুরে এনজিওর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1159571 | বগুড়ার শেরপুরে জনতা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজন সদস্য ওই সংস্থার চেয়ারম্যান, শেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক ও একজন মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে গত রোববার থানায় মামলা করেন। এজাহারে বাদীর ১০ লাখ টাকাসহ এলাকার লোকজনের প্রায় ২০ কোটি আত্মসাৎ করে আসামিদের গাঢাকা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।সংস্থাটি বগুড়া জেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে। শেরপুর পৌর শহরের খেজুরতলা এলাকায় এক ব্যক্তির তৃতীয় তলা ভাড়া নিয়ে ২০১২ সালে সংস্থাটি কার্যক্রম শুরু করে। ২ এপ্রিল থেকে সংস্থার কার্যালয়টি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর বগুড়ার সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ওই সংস্থার নাম নিবন্ধিত (নম্বর ৪৪৭) করা হয়। সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনার মধ্যে ছিল সঞ্চয় আদায়, সদস্যদের মধ্যে ঋণ প্রদান, শেয়ার আদায় ও আমানত সংগ্রহ করা।ওই সংস্থার শেরপুরের পাঁচজন সদস্য বলেন, শেরপুর, ধুনটসহ এবং পাশের সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা বাজার এলাকায় অন্তত দুই হাজার ব্যক্তি এই সংস্থার সদস্য। সব সদস্য এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ঋণ প্রদানসহ অধিক লভ্যাংশের লোভ দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে প্রতিদিন সঞ্চয়ের টাকা, শেয়ার আদায় ও বিভিন্ন মেয়াদের আমানত হিসেবে টাকা সংগ্রহ করা হতো। ২ এপ্রিল সংস্থাটির কার্যালয় থেকে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে ঋণ প্রদান ও আমানত জমাকারীদের লভ্যাংশের টাকা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। এসব টাকা উত্তোলন করতে এসে তাঁরা দেখতে পান সংস্থাটির কার্যালয় তালাবদ্ধ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ নেই।মামলার বাদী উপজেলার হুসনাবাদ গ্রামের আলতাব আলী সরকার বলেন, সংস্থাটির চেয়ারম্যান, শেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) ও একজন কর্মচারী আমানতের টাকায় প্রতি মাসে প্রতি লাখে ১২ হাজার টাকার লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছে থেকে আট দফায় আমানত হিসেবে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। টাকা জমা দেওয়ার সব কাগজপত্র তাঁর কাছে রয়েছে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপক তাঁকে চার কিস্তিতে লভ্যাংশের ৪৮ হাজার টাকাও দিয়েছেন। ২ এপ্রিল তিনি লভ্যাংশের টাকা তুলতে গেলে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ দেখতে পান। সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ নেই।পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকার রাশেদুল হাসান খান বলেন, সংস্থাটির ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীরা প্রতি মাসে তাঁকে প্রতি লাখে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট ওই সংস্থায় আড়াই লাখ টাকা আমানত হিসেবে জমা দেন। জমা দেওয়ার ছয় মাস পর্যন্ত তাঁকে আমানত থেকে লভ্যাংশের টাকাও দেওয়া হয়েছিল।গতকাল বুধবার সংস্থাটির চেয়ারম্যান কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের খন্দকার আবুল কালাম আজাদ (৫০) ও ব্যবস্থাপক আবদুর রহিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামসুজ্জোহা বলেন, মামলার এজাহারে বাদী আলতাবের ১০ লাখ টাকাসহ এলাকার লোকজনের প্রায় ২০ কোটি আত্মসাৎ করে আসামিদের গাঢাকা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। | 313,982 |
কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ জুলাই ২০১৩, ১৫:৩৯ | ০৮ জুলাই ২০১৩, ১৫:৪০ | রাজনীতি | 0 | প্রার্থী বাছাই গাজীপুরে প্রভাব ফেলেছে: হানিফ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/21008 | আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ১৪ দলের কিছু পদক্ষেপ ছিল, যেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। হানিফ আরও বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বা ঘোষণা করার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করায় তারা ক্ষুব্ধ ছিল এবং তারা প্রথম থেকে নাগরিক কমিটির প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচনে নামে। এই বিরোধটা নিষ্পত্তি না করার কারণে দলের (আওয়ামী লীগ) প্রতি নেতিবাচক প্রভাব চলে আসে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।মাহবুব উল আলম হানিফ অভিযোগ করে বলেন, গাজীপুরে জাতীয় কিছু ইস্যু কাজ করেছে। বিশেষ করে হেফাজতে ইসলামের ৫ মের সমাবেশ নিয়ে প্রচারণা, ধর্ম ও অর্থকে ব্যবহার করা হয়েছে। আওয়ামী কর্মীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও ক্ষোভ থাকার কারণে গাজীপুরের নির্বাচনে দলের সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। হানিফ আরও বলেন, নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে না নামাতে পারলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এই নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে না বলে তিনি মনে করেন। সেখানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফর, পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। | 976 |
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:০৫ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:০৬ | রায়গঞ্জ,সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | শোক ও স্মরণসভা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/437089 | সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা আদর্শ বণিক সমবায় সমিতির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র (৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর) সিরাজুল হক সরকারের মৃত্যুতে শোক ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার সকালে চান্দাইকোনায় সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আবদুল হালিম খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সমিতির সহসভাপতি জাকির হোসেন, পরিচালক আবদুল হান্নান শেখ, মুরারী মহন্ত প্রমুখ। | 110,884 |
এএফপি, ব্রুনেই | international | আন্তর্জাতিক | ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৮ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:২৬ | এশিয়া,ব্রুনেই | null | ব্রুনেইয়ে কঠোর ইসলামি শরিয়াহ আইন কার্যকর | http://www.prothom-alo.com/international/article/1586965 | সমকামিতার জন্য পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধানধর্ষণ ও ডাকাতির সাজা মৃত্যুদণ্ডবিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও এশিয়ার ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র ব্রুনেইতে ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক একাধিক কঠোর আইন কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ওই সব আইন কার্যকর হয়। আইনগুলোর একটিতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও সমকামিতার জন্য পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান রয়েছে।বোর্নিও দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ব্রুনেইয়ের এক পাশে মালয়েশিয়া ও অপর প্রান্তে দক্ষিণ চীন সাগর। প্রাকৃতিক সম্পদশালী এই দেশটির বেশির ভাগ মানুষই মুসলমান। দেশটির সব ক্ষমতার অধিকারী সুলতান হাসান-আল বলকিয়াহ। কয়েক বছর ধরেই দেশটিতে ইসলামি শরিয়াহ আইন প্রণয়নের কথাবার্তা হচ্ছিল। তখন থেকেই বিশ্বের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, তারকা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রকম আইনের বিরোধিতা করে তা প্রণয়ন না করতে ব্রুনেই কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল। অবশেষে গতকাল ওই সব আইন কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্রুনেইয়ের সরকারি কর্মকর্তারা।নতুন আইনের দণ্ডবিধিতে চুরির অপরাধে অঙ্গচ্ছেদের (হাত-পা কেটে নেওয়া) বিধান রয়েছে। ধর্ষণ ও ডাকাতির সাজা মৃত্যুদণ্ড। আইনগুলোর আরেকটিতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি বা অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এটা মুসলমান বা অমুসলমান উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে এই রকম শরিয়াহ আইন বলবৎ থাকলেও পূর্ব অথবা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্রুনেইতেই প্রথম।ব্রুনেইতে শরিয়াহ আইন কার্যকরের আগেই তা নিয়ে সারা বিশ্বে বিতর্কের ঝড় ওঠে। জাতিসংঘ এই আইনকে ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘অমানবিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা জর্জ ক্লুনি, পপ তারকা এলটন জনসহ বিশ্বের প্রথম সারির তারকাও শরিয়াহ আইনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার সহকারী পরিচালক ফিল রবার্টসন এই আইনকে পুরোপুরি ‘বর্বরতা’ হিসেবে আখ্যা দেন। এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, এই আইন নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।যুক্তরাষ্ট্রও এ আইনের তীব্র সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘে নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো বলেছেন, শরিয়াহ আইনের দণ্ডবিধির ২ ও ৩ নম্বর ধারা বাস্তবায়নে ব্রুনেইয়ের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইনের একেবারেই বিপরীত।তবে পাঁচ দশক ধরে সিংহাসনে থাকা সুলতান হাসান-আল বলকিয়াহ এই শরিয়াহ আইনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গতকাল পবিত্র শবে মিরাজ উপলক্ষে রাজধানীর বন্দর সেরি বেগওয়ান থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি দেশটিতে ইসলামিক অনুশাসন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। | 396,607 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ জুলাই ২০১৮, ০০:০১ | ২১ জুলাই ২০১৮, ০০:০৩ | -1 | null | ইমরানকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1537001 | গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গণজাগরণ মঞ্চের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সময় প্রশাসনের বাধার মুখে বিমানবন্দর থেকে ফিরতে হয় ইমরানকে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিমন্ত্রণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনসহ সব প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বিমানে ওঠার পর সেখান থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।এ ব্যাপারে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘বিমানে ওঠার পর তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা স্পষ্টভাবেই নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন। দেশে ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই, সরকারের এই আচরণে এটাই প্রমাণিত হয়।’ | 371,120 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:১২ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:১২ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শান্তিনীড়ের শীতবস্ত্র বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1062239 | চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শান্তিনীড়ের উদ্যোগে উপজেলার চরশরত ও সুফিয়া এলাকায় ২২০ জন দুস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।১৩ জানুয়ারি সকালে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন। শান্তিনীড়ের সভাপতি আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন কামরুল ইসলাম, মির্জা জসিম উদ্দিন, আবুল খায়ের, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। | 285,000 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জুন ২০১৫, ০১:০২ | ১৫ জুন ২০১৫, ০১:০৩ | রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,খবর,আইন ও বিচার | 0 | মোসাদ্দেককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/553480 | রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তই থাকছেন বিএনপির নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তাঁকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ গতকাল রোববার বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় বিচারিক আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করায় গত ৭ মে তাঁকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর বিরুদ্ধে তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন আদালত। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার আদালত ৪ জুন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।মোসাদ্দেকের আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ অব্যাহত রেখে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এখন হাইকোর্টে রুলের শুনানি হবে।মোসাদ্দেক হোসেন মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর ৩১ মে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজাম উল আযীমকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিয়োগ দেয় সরকার। | 145,300 |
স্বপ্ন নিয়ে প্রতিবেদক | education | শিক্ষা | ০১ মার্চ ২০১৫, ০১:১৩ | ০১ মার্চ ২০১৫, ০১:১৫ | জেনে রাখুন,স্বপ্ন নিয়ে | 0 | বাংলা শিখতে বাংলাদেশে | http://www.prothom-alo.com/education/article/464452 | তাঁদের কারও মাতৃভাষা বাংলা নয়, তবু তাঁরা গাইলেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…। তাঁরা খালি পায়ে শহীদ মিনারে জানালেন শ্রদ্ধা। বাংলাকে ভালোবেসে তাঁরা বাংলা ভাষা শিখছেন। একটু একটু করে হৃদয়ে গেঁথে নিচ্ছেন বাংলা সংস্কৃতি।ভাবছেন তাঁরা কারা? তাঁদের নাম লিডিয়া স্মিথ, দেশা কার্সন, সারন শাহি, কেলিব উয়ো ও বেনেডিক্ট ব্রুনো। দর্শকসারিতে ছিলেন আরো অনেক বাংলা পড়ুয়া সহপাঠী। যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, জার্মানি, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে এসেছেন বাংলা ভাষা শিখতে। তাঁরা বাংলা শিখছেন লার্ন বাংলা (learnbangla.org) নামের একটি স্কুলে। লার্ন বাংলা শুধু বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাংলা শিখিয়ে থাকে। রাজধানীর বনানী ও উত্তরা শাখায় লার্ন বাংলার রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থী।গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিষ্ঠান তাদের বনানী ক্যাস্পাসে আয়োজন করেছিল ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন-২০১৫’। আর এই আয়োজনে বিদেশি শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।লার্ন বাংলার অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা মেরি জুলিয়েটে পিনেরুর উপস্থাপনায় একে একে তাঁরা গাইতে থাকেন ‘মোদের গরব মোদের আশা’, ‘ওরে গৃহবাসী’, ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’সহ আরও বেশ কটি বাংলা গান। আবৃত্তি করেন ‘আজ সৃষ্টিসুখের উল্লাসে’। আর যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী মিশেল ও হ্যালি ‘ও আমার দেশের মাটি’ গানের সঙ্গে পরিবেশন করেন অসাধারণ নৃত্য।এই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের মাতৃভাষা নিয়ে একটি উন্মুক্ত আলোচনাও ছিল। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মাতৃভাষার পক্ষে প্রাণবন্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। | 119,437 |
প্রতিনিধি, লোহাগড়া, নড়াইল | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ মার্চ ২০১৮, ১২:২৩ | ৩০ মার্চ ২০১৮, ১২:২৬ | নড়াইল,অপরাধ | 0 | লোহাগড়ায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1460006 | নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া শেখপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী খান কামরুজ্জামানকে (৫০) গুলি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাহুড়িয়া হাফেজ আবদুল করিম একাডেমির পাশে রাস্তায় তাঁকে গুলি করা হয়। তিনি এখন ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁকে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাহুড়িয়া গ্রামে কামরুজ্জামানের ইটভাটা রয়েছে। তিনি ঠিকাদারি কাজের সঙ্গেও জড়িত।লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর পিঠের ডানপাশে গুলি লেগেছে। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। কামরুজ্জামান বলেছেন, তিনি মোটরসাইকেলে লাহুড়িয়া বাজার থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ে একটি মোটরসাইকেল তাঁর পিছু নেয়। ওই মোটরসাইকেল থেকে একজন তাঁকে গুলি করেছে। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে তাঁকে গুলি করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। | 359,473 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ আগস্ট ২০১৬, ২১:১৫ | ২৬ আগস্ট ২০১৬, ২১:২২ | গাজীপুর,দুর্ঘটনা,ঢাকা বিভাগ | 0 | গাজীপুরে টেক্সটাইল কারখানায় আগুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/958504 | গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় ইভেন্স গ্রুপের চৌধুরী টেক্সটাইল লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।গাজীপুরের শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক জিহাদ হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা কম ছিল। আগুনের খবর শুনেই সবাই নিরাপদে বেরিয়ে গেছেন। | 253,395 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ০৮ নভেম্বর ২০১৩, ০০:১৬ | ০৮ নভেম্বর ২০১৩, ২২:৫৬ | বিনোদন,হলিউড | 0 | সাংবাদিক র্যাডক্লিফ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/68737 | এই জীবনে অসংখ্যবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন শৈশব থেকেই বড় তারকাখ্যাতি পেয়ে যাওয়ার সুবাদে। ‘হ্যারি পটার’ তারকা ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ এবার নিজেই হয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিক। অবশ্য রুপালি পর্দায়। টোকিও ভাইস নামের নতুন ছবিতে জ্যাক অ্যাডেলস্টেইন নামের এক সাংবাদিকের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক অ্যাডেলস্টেইনের লেখা স্মৃতিকথা অবলম্বনে বানানো হচ্ছে ছবিটি। টোকিও মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রেসক্লাবের সদস্য থাকার সময় একটি দুর্নীতির কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দিয়ে জাপানি এক গডফাদারের রাজত্বের শেষ টেনে দিয়েছিলেন এই সাংবাদিক। এ নিয়েই ছবির গল্প। আইএএনএস। | 26,434 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৭ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪১ | বলিউড | 0 | চরিত্রের জন্য বিচ্ছিন্ন ভূমি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1574964 | নিজের নতুন ছবি সোনচিড়িয়ার জন্য অধীর হয়ে আছেন ভূমি পেড়নেকর। কারণ, এই ছবির জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। চরিত্রের ভেতর ঢোকার জন্য নিজেকে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়েছে, থাকতে হয়েছে প্রযুক্তি ছাড়া একঘরে হয়ে।সম্প্রতি সোনচিড়িয়া ছবির প্রচারের সময় ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে একটি সাক্ষাৎকার দেন বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেড়নেকর। সেখানে এই অভিনেত্রী বলেন, সত্তরের দশকের এক গ্রাম্য নারীর চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য তাঁকে তাঁর শহুরে আধুনিক জীবন থেকে বের হতে হয়েছে। এ জন্য তিনি প্রায় এক মাসের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তাঁর চারপাশের মানুষদের কাছ থেকে। শুধু পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গেই কথা বলেননি তিনি, কোনো যোগাযোগও করেননি।অভিষেক চৌবে পরিচালিত সোনচিড়িয়া ছবিটি ভারতের চাম্বল এলাকার ডাকাতদের জীবন ও ডাকাতের উৎপাত সহ্য করে বেঁচে থাকা একটি গ্রামের গল্প। ছবিটির শুটিং চাম্বলেই হয়েছে। ভূমি জানান, ছবির শুটিংয়ের জন্য চাম্বল যাওয়ার আগে বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলা, ফোন ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। শুটিং শুরুর আগে গ্রামের জীবনযাপন রপ্ত করতে এক সপ্তাহ আগেই একা চলে যান চাম্বলে। সেখানে কয়েক দিন বিচ্ছিন্নভাবে কাটিয়ে তবেই তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে ছবির শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত তিনি।সোনচিড়িয়া ছবিতে আরও দেখা যাবে সুশান্ত সিং রাজপুতকে। সূত্র: আইএএনএস | 387,263 |
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০১ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০১ | কমলগঞ্জ,মৌলভীবাজার,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা | 0 | ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1030563 | সিলেট-আখাউড়া রেলপথের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও শমশেরনগর রেলস্টেশনের মাঝামাঝি ফরকছড়া রেলসেতু এলাকায় ঢাকাগামী আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে করম আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। করম আলীর বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার বিলেরপার গ্রামে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি রেলপথ ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক আসা ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি মারা যান। | 270,107 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫৫ | ২০ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫৬ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | ডাকাতি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/507559 | গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়িতে দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতির সময় বাধা দেওয়ায় এক নারীসহ তিনজনকে কুপিয়েছে ডাকাতেরা। ডাকাতির শিকার ওই দুই ব্যবসায়ী হলেন মঞ্জুরুল হক (৬০) ও শামসুল হক (৫০)। শনিবার দিবাগত রাতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। একই রাতে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী শামসুল হক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে ওই ডাকাত দল তার বাড়িতেও হানা দেয়। ডাকাতেরা বাড়ির লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছয়টি মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান কাপড়চোপড় লুটে নেয়। | 132,596 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ এপ্রিল ২০১৮, ২০:১১ | ১১ এপ্রিল ২০১৮, ২০:১৩ | সংসদ,অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত | null | ঋণখেলাপিদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করা যেতে পারে: অর্থমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1468156 | অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সময়-সময় ঋণখেলাপিদের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে। ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে।আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।রুস্তম আলী তাঁর প্রশ্নে ঋণখেলাপিদের নাম-ঠিকানা আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, জানতে চান।জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণখেলাপিদের তালিকা কয়েক দফায় জাতীয় সংসদে প্রকাশ করা হয়েছে। সংসদ সদস্যরা ঋণখেলাপিদের তালিকা দেখতে চেয়েছেন, সেভাবে কয়েকবার ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ কর হয়েছে। তবে, তাঁদের নাম-ঠিকানা পত্রিকায় প্রচার করার চিন্তা কখনো করা হয়নি। তবে নিশ্চয়ই এটা করা যায়। এ প্রস্তাবটি বিবেচনার উপযুক্ত। ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। সময়-সময় তাঁদের নাম প্রকাশ করা যেতে পারে।অর্থমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ঋণখেলাপি, তাঁরা জাতির ভয়ংকর ক্ষতি করছেন। যে টাকাটা অন্য খানে বিনিয়োগ করা যেত, তাঁরা না নিয়ে গুম করে দেন।সংরক্ষিত আসনের সাংসদ হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে জাতিসংঘের প্রদেয় বিভিন্ন চাঁদা বাংলাদেশের হার ২০২৭ সালের পর পর্যায়ক্রমে বাড়বে। এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জাতিসংঘের এলডিসি ফান্ড থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য গ্রিন এনভায়রনমেন্ট ফান্ড (জিইএফ) কর্তৃক দেয় সুবিধার পরিমাণ হ্রাস পাবে। | 360,617 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ আগস্ট ২০১৩, ১৮:৫৬ | ৩১ আগস্ট ২০১৩, ১৯:০৬ | রাজনীতি | null | বিএনপি কখনো জামায়াত কখনো হেফাজতে ভর করে: বনমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/43503 | পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি গণতন্ত্র নস্যাত্ করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।এজন্য তারা কখনো জামায়াতের ওপর, কখনো হেফাজতের অথবা জঙ্গিদের ওপর ভর করছে।কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, একদিন এই জঙ্গিরাই তাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বিরোধী দল বিএনপির দিকে অভিযোগ ছুড়ে দিয়ে বলেন, মিথ্যা বলে রাজনীতি করা বিএনপির মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।তিনি বলেন, যাদের রাজনীতিই মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত, তাদের মুখে মিথ্যা ছাড়া আর অন্য কিছু আশা করা অবান্তর।হাছান মাহমুদ আরও বলেন, দেশে আবার একসঙ্গে ৫০০ অথবা পাঁচ হাজার জায়গায় বোমা ফুটবে কি-না, আবার বাংলা ভাই আর তালেবান সৃষ্টি হবে কি না, তা দেশের মানুষকেই ঠিক করতে হবে।মন্ত্রী আরও বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকলে বিরোধী দলের নেত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য গ্রেনেড হামলা করে, বিরোধী দলের সংসদ সদস্য খুন হন, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়, হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি ও কালো টাকার পাহাড় গড়ে তোলা হয়, জনগণ তাঁদের আর দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না।তারেক রহমানের সিঙ্গাপুরে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মিথ্যা দিয়ে কখনো সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না।তিনি বলেন, মির্জা সাহেব ভারমুক্ত হওয়ার জন্য যতই মিথ্যা বলে যান, দেশের মানুষের কাছে এটা পরিষ্কার যে ‘চোরের মায়ের গলা একটু বড়ই হয়’।মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার আর সুযোগ নেই। তাই আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের চার বছর ছয় মাসে দেশে প্রায় ছয় হাজার নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে। অতীতে এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ইতিহাস নেই। আওয়ামী লীগ কারচুপি ও ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কৃষক লীগের সহসভাপতি এম এ করিম, আওয়ামী লীগের নেতা জাকির হোসেন, বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ। | 13,106 |
মামুন মুহাম্মদ, সাতকানিয়া | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০১:১৮ | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০১:১৯ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | যানবাহন চলাচল বন্ধ ১৩ বছর! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/952537 | ১৩ বছর আগে বন্যার কবলে পড়ে সড়কের ভাঙন শুরু হয়। তখন এক পাশের ১৫ মিটার ভেঙে পাশের খালে বিলীন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে পড়ে যানবাহন চলাচল। কিন্তু এ নিয়ে কারও মাথাব্যথাই ছিল না। ভাঙন ঠেকানোর কোনো চেষ্টাই করা হয়নি। ফলে দিন দিন ভাঙন বেড়েছে। এখন সড়কের প্রায় ৭০ মিটারই ভেঙে পড়েছে খালে। এ চিত্র সাতকানিয়া পৌরসভার সোনাকানিয়া খালের পার্শ্ববর্তী সৈয়দ সুলতানপাড়া সড়কের। ১৮ আগস্ট সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দ সুলতানপাড়ার মাঝামাঝি অংশে সড়কের অস্তিত্বই নেই। প্রস্থ ঠেকেছে মাত্র দুই-তিন ফুটে। কোনো রকমে হেঁটে চলাচল করছেন স্থানীয় লোকজন। সৈয়দ সুলতানপাড়ার বাসিন্দা সাহিদা বেগম (৩৬) বলেন, দীর্ঘ ১২-১৩ বছর ধরে সড়কের এ অবস্থা। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগে সড়কের ভাঙা অংশ পরিদর্শন করে সংস্কারের আশ্বাস দেন। কত জন যে আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন তার কোনো হিসাব নেই। কিন্তু ভাঙা অংশ সংস্কার হয়নি। স্থানীয় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ আবুল কালাম (৩২) বলেন, সড়কটি দিয়ে একসময় রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যান চলাচল করত। এখন হেঁটে চলাও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই গ্রামের অনেক বাসিন্দা দূরের মির্জাখীল সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। মাদার্শা-সোনাকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নান্টু কুমার ধর বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্তত দুই হাজার মানুষ চলাচল করে। ভয় হয় কখন কোনো শিশু হোঁচট খেয়ে পাশের খালে পড়ে যায়। সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সড়কের ভাঙা অংশ সংস্কারের জন্য পাঁচ বছর আগে ইট আনা হয়েছিল। তবে বরাদ্দ কম হওয়ায় ওই সময় সড়কের ভাঙা অংশ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশ বলেন, সৈয়দ সুলতানপাড়া সড়কের ভাঙা অংশ মেয়র পরিদর্শন করেছেন। সড়কটির ভাঙা অংশ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) আবেদন করা হয়েছে। পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘সড়কের ভাঙা অংশটি দেখার জন্য দুবার সৈয়দ সুলতানপাড়ায় গিয়েছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। এত দিন সড়কের ভাঙা অংশটি মেরামত হয়নি কেন, তা আমি বলতে পারব না। চেষ্টা করছি ভাঙা অংশটি দ্রুত সংস্কার করার।’ | 252,006 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৬, ২১:০৮ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৬, ২১:২১ | অপরাধ | 0 | খ্রিষ্টান দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৬ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/753973 | নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় খ্রিষ্টান দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। হামলার ঘটনায় আজ শুক্রবার রাত নয়টা পর্যন্ত মামলা হয়নি।আটক ব্যক্তিরা হলেন: রুবেল পাঠান, নাজমুল পাঠান, লিটন মিয়া, শাহজাহান মিয়া, বাচ্চু কসাই ও ইউনুস কবিরাজ।গত বুধবার রাতে বনপাড়ার কালিকাপুর এলাকায় সাবেক স্কুলশিক্ষক গ্যাব্রিয়েল কস্তা ও তার স্ত্রী বীণা পিরিসের শয়নকক্ষে ঢুকে তাঁদের মারধর করে দুর্বৃত্তরা। এই হামলার একপর্যায়ে ওই দম্পতি অচেতন হয়ে পড়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে তাঁদের চেতনা ফিরে আসে। বর্তমানে তাঁরা বনপাড়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমরান হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।আহত গ্যাব্রিয়েল কস্তার মেয়ে নীলা কস্তা বলেন, তাঁর বাবা-মা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে পারেননি। ঘটনার সময় বাবা-মা ছাড়া বাসায় কেউ ছিলেন না। আরও খোঁজ খবর নিয়ে তাঁরা মামলা করবেন। | 196,573 |
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:৪০ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:৪০ | গোয়ালন্দ,রাজবাড়ী,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | পণ দিলেও মুক্তি মেলেনি রবিনের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/114970 | চার দফায় মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা অপহরণকারীদের দিয়েছিল স্কুলছাত্র রবিনের পরিবার। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার এক মাস পরও তারা তাকে ছেড়ে দেয়নি। রবিনকে ফিরে না পেয়ে তার মা-বাবা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। পুলিশ অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।রবিন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ঈমানখার পাড়ার হাসমত খানের ছেলে ও স্থানীয় কেকেএস শিশু বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। গত ১৪ নভেম্বর দৌলতদিয়া থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় দৌলতদিয়ার আঞ্জুমান কাদেরিয়ার দরবার শরিফে মহররমের মাতম দেখতে বাড়ি থেকে বের হয় রবিন। দুই দিন পর তার বড় ভাই মিলনের মুঠোফোনে ফোন করে এক ব্যক্তি জানায়, রবিন তাদের কাছে আছে এবং তাকে ছাড়িয়ে নিতে ২০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দিতে হবে। বিষয়টি পুলিশ বা র্যাবকে জানালে রবিনকে হত্যা করা হবে। ওই দিন সন্ধ্যায় তাদের কথামতো অপহরণকারীদের দেওয়া নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর সকালে রবিনের ভাইকে একই নম্বরে আরও ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতে বলা হয়। দুপুরে আবার ফোন করে ৫০ হাজার নিয়ে তাদের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী রবিনের বাবাসহ কয়েকজন ফরিদপুরের সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় যান। সেখান থেকে টাকাসহ একজনকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে টাকা রেখে রবিনকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অপহরণকারীদের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এর তিন দিন পর অপহরণকারীরা ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠাতে বলে। ওই ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর পরও রবিনকে ফিরে পায়নি তার পরিবার।গতকাল শুক্রবার রবিনদের বাড়িতে গেলে তার মা রহিমা বেগম অপহরণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার রবিনরে আপনারা কোনো ক্ষতি কইরেন না। সবকিছুই নিয়া যান, তবু ওরে আমাদের কোলে ফিরায়্যা দেন।’ এ ঘটনায় রবিনের নানা আবদুল জলিল মুন্সি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় আজিজল ওরফে আইজ্জাল ও মজিবর শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়ালন্দ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আহমেঞ্চদ জানান, রবিনকে উদ্ধার এবং অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। | 41,098 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:০২ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:৪২ | রাজনীতি | null | কাউন্সিলে বিপর্যয় কাটানোর আশা ফখরুলের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/769633 | সরকারের দমন-পীড়নের কারণে বিএনপি যে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, কাউন্সিলের মাধ্যমে তা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রকাশ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, দলের আসন্ন ষষ্ঠ কাউন্সিলের জায়গার অনুমতি এখনো তাঁরা পাননি। আগামী ১৯ মার্চ কাউন্সিল করার জন্য তিনটি জায়গায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদনর নাকচ করেছে। তিনি বলেন, বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশনের তিন হাজার কাউন্সিলরের জন্য বড় হল রুম প্রয়োজন। এ জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পেলে বিএনপির জন্য ভালো হয়। সেখানে অনুমতি পাবেন বলে তাঁরা আশা করছেন। না হলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে করার চিন্তা করছেন তারা।মির্জা ফখরুল বলেন, কাউন্সিল ও জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে, নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সব কমিটিগুলোও গঠন করা হয়েছে। তাঁরা পুরো দমে কাজ শুরু করেছে। বিএনপির জেলা সম্মেলনগুলোতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে।মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেও বিএনপি অংশ নিচ্ছে। দলীয় প্রতীকে ইউনিয়নর পরিষদ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক হবে না। | 201,537 |
সিলেট প্রতিনিধি| | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জুন ২০১৬, ০১:১৫ | ১২ জুন ২০১৬, ০১:১৫ | সিলেট,সিলেট বিভাগ,মহানগর | 0 | যানজটমুক্ত রাখতে... | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/885292 | জনস্বার্থে ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে রমজান মাসে শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের এক বিশেষ সভা গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা সুন্দর আলী খান, আজাদ মিয়া, মানিক খান প্রমুখ। নগরকে যানজটমুক্ত রাখতে সভা থেকে কদমতলী পয়েন্ট, সিলেট-জকিগঞ্জ রোডের ওভার ব্রিজসংলগ্ন রাস্তায় যান না রাখার পাশাপাশি নগরের কোনো সড়কেই ভুল পার্কিং না করার জন্য চালকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। | 231,437 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:৪০ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:২৫ | অপরাধ,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আটক ৫, অস্ত্র উদ্ধার: র্যাব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1036239 | চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, হাত গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে।আটক ব্যক্তিরা হলেন তাজুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, আবু জার গিফারি, নূরে আলম ও ইফতিশাম আহমেদ।র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আকবর শাহ থানার এ কে খান এলাকা থেকে প্রথমে তাজুল ও নাজিমকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর কাট্টলী এলাকার মুকিম তালুকদারের বাড়িতে অভিযানে যায় র্যাব। সেখান থেকে আবু জার গিফারি, নূরে আলম ও ইফতিশামকে আটক করা হয়। বাড়িটি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, হাত গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।র্যাব জানায়, মুকিম তালুকদারের দোতলা বাড়িটিতে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। প্রথমে বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব। এরপর অভিযান শুরু হয়। অভিযানের শুরুতে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে ঘরের ভেতরে থাকা জঙ্গিরা তাদের নথিপত্র, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে র্যাব।নাঈম উদ্দিন নামের এক প্রতিবেশীর ভাষ্য, বাড়িটিতে যাঁরা থাকতেন, তাঁদের তিনি চিনতেন না।নাম প্রকাশ না করে আরেক প্রতিবেশী বলেন, বাড়িটিতে থাকা লোকজন দিনের বেলায় আসতেন না। তাঁদের রাতে দেখা যেত।নুরুল আলম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, আজ সকাল ছয়টার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব।অভিযান শেষ হলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে মুকিম তালুকদারের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। সেখান থেকে দুটি পিস্তল, কিছু গুলি, কয়েকটি হাত গ্রেনেড, বোমা তৈরির উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা হুজি-বির গ্রেপ্তার হওয়া এক নেতার সহযোগী বলে জানিয়েছেন। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, আটক ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অস্ত্র লুট করার পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁরা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনায় ছিলেন। কারাগারে থাকা শীর্ষ নেতাদের তাঁরা ছিনতাই করতে চেয়েছিলেন। | 272,350 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ০২ মে ২০১৭, ২১:৫১ | ০২ মে ২০১৭, ২১:৫২ | -1 | null | ফ্রিল্যান্সারদের আয় আসবে কার্ডে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1165921 | সহজ হলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের ফ্রিল্যান্সারদের আয় দেশে আনার পদ্ধতি। এখন থেকে এ খাতের বৈদেশিক আয় আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে দেশে আসবে। পূর্বঘোষণা ছাড়ায় ৯ হাজার ৯৯৯ ডলার পর্যন্ত আয় আনা যাবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ব্যাংকগুলোকে এ সুবিধার কথা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের জানানোর নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফিল্যান্সাররা কার্ডের মাধ্যমে দেশে আসা অর্থের ৭০ শতাংশ ডলার হিসেবে ও ৩০ শতাংশ টাকা হিসেবে রাখতে পারবেন। ডলার স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তরের সময় স্থানীয় বিনিময় মূল্য কার্যকর হবে। ডলার হিসেবে থাকা অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি বিল পরিশোধে ব্যবহার করা যাবে।বর্তমানে যেসব ব্যাংকের কার্ড-সুবিধা আছে, এদের অনেকেরই আন্তর্জাতিক উত্তোলন সুবিধা আছে। এসব কার্ড এখনই এ সুবিধা পাবে।যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ সুযোগের ফলে ফ্রিল্যান্সরদের অর্থ বৈধ পথে দেশে আসবে। আমরাও জুন থেকে পেঅনার কার্ড ইস্যু করব। এ জন্য কাজ চলছে।’ | 314,796 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৩৫ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৪৭ | ভারত | null | মুকেশ আম্বানির পকেটে কত টাকা থাকে? | http://www.prothom-alo.com/international/article/1378846 | পকেটে কোনো টাকা ছাড়া কোথাও যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন! মনে হয় না। কিন্তু ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি পারেন। তাহলে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন হয়তো। তাও না। কয়েক বিলিয়ন ডলারের এই মালিকের পকেটে আসলে ফুটো পয়সাও থাকে না। তাঁর কাছে নগদ টাকা তেমন কোনো ব্যাপারই না।তাহলে সবখানে চলেন কী করে, সামাজিকতা রক্ষাই–বা করেন কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক মুকেশ আম্বানি নিজেই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সার্বক্ষণিক তাঁর সঙ্গে থাকা সহযোগীরাই যাবতীয় বিল মিটিয়ে দেন।এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে দেওয়া বক্তব্যে মুকেশ আম্বানি নিজের এই গোপন কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থ তেমন বিশেষ কোনো ব্যাপার নয়। এটি কেবল কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকি নিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া অর্থ আপনাকে অল্প মাত্রায় স্বস্তি দিতে পারে।’ভারতের অন্যতম শীর্ষ এই ধনী ব্যক্তি পকেটে কোনো অর্থ রাখেন না, এমনকি ক্রেডিট কার্ডও। সার্বক্ষণিক সঙ্গে থাকা সহযোগীরাই তাঁর যাবতীয় বিল মিটিয়ে দেন। ৪ হাজার ৫০ কোটি ডলারের মালিক মুকেশ আম্বানি নিজের সম্পর্কে বলেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকেই আমি পকেটে কোনো অর্থ রাখি না, এখনো রাখি না। আমার কোনো ক্রেডিট কার্ড নেই। আমার আশপাশে সব সময় সহযোগীরা থাকেন। তাঁরাই বিল পরিশোধ করেন। এভাবেই আমার কাজ চলে যায়।’ | 346,727 |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০২ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০৩ | আদমদীঘি,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,রাজনীতি | 0 | সহিংসতার বিরুদ্ধে আ.লীগ বিএনপি এককাট্টা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/459421 | দেশজুড়ে যখন হরতাল-অবরোধের নামে চলছে নাশকতা, তখন বগুড়ার আদমদীঘিতে বসেছিল রাজনৈতিক সম্প্রীতির মিলনমেলা। সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলাতে সেখানে একত্র হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা।গত শনিবার ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আদমদীঘি থানা। থানা চত্বরে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান, সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাসেম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল বারি, আওয়ামী লীগের নেতা আবু রেজা খান, সাজেদুল ইসলাম, নিসরুল হামিদ, জার্জিস আলম, রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ফারুক, সহসভাপতি খন্দকার মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। এ কারণে এই উপজেলায় কোনো রাজনৈতিক সন্ত্রাস নেই। এখানকার মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। তাই আমরা এক জায়গায় মিলিত হয়েছি।’উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার বলেন, ‘আমরা সব সময় এলাকায় শান্তি চাই। তাই শান্তির জন্য সব সন্ত্রাস-হানাহানির ঊর্ধ্বে থাকতে চাই।’আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেম উদ্দীন বলেন, দুই দলের মধ্যে সম্প্রীতি থাকলে এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে না। | 117,759 |
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, আমেথি থেকে | international | আন্তর্জাতিক | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৭ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৯ | ভারত | 0 | আমেথির ভোট যুদ্ধে মুখোমুখি দুই রানি | http://www.prothom-alo.com/international/article/1087432 | সঞ্জয় লীলা বনসালি চাইলে টান টান একটা সিনেমা তৈরি করতে পারেন। আমেথির রাজপ্রাসাদে হিট সিনেমার উপাদান এতটাই।বাজি ধরে বলতে পারি, গোটা দেশের মানুষ চোখের পলক না ফেলে সেই সিনেমা গিলবে, যেমন গিলেছিল সঞ্জয়ের তৈরি দেবদাস, বাজিরাও মাস্তানি কিংবা হাম দিল দে চুকে সনম।আমেথি ও রাহুল গান্ধী প্রায় সমার্থক হয়ে গেলেও কংগ্রেসের সহসভাপতি সরাসরি এই সিনেমার কাহিনির সঙ্গে জড়িত নন। আবার তাঁকে যে একেবারেই চরিত্র লিপির বাইরে রাখা যাবে, তা-ও নয়। কারণ, আমেথির রাজা সঞ্জয় সিংয়ের বর্তমান স্ত্রী অমিতাকে ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিট দিয়েছেন তিনিই। আবার রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধার পেছনেও রয়েছে তাঁর হাত।সিনেমা তৈরির জন্য আমেথির রাজপ্রাসাদের অলিন্দে পরতে পরতে যে উপাদানগুলো রয়েছে, সঞ্জয় লীলা বনসালিকে তা বরং জানানো যাক। লক্ষ্ণৌর প্রায় দেড় শ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আমেথি। রাহুল গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র আমেথির মধ্যেই রয়েছে আমেথি বিধানসভা, যেখানকার শেষ রাজা রনঞ্জয় সিং দত্তক নিয়েছিলেন আজকের ‘রাজা’ সঞ্জয় সিংকে। স্বাধীন ভারতে রাজাদের রাজত্ব যাওয়ার পরই সঞ্জয়ের জন্ম। তবু অামেথির আবালবৃদ্ধবনিতার কাছে সঞ্জয় অাজও ‘মহারাজ’। এখনো আমেথির রাস্তায় তাঁর গাড়ি বেরোলে অন্য সব গাড়ি থেমে যায়।কাহিনির শুরু আশির দশকের মাঝামাঝি। ব্যাডমিন্টনে তখন দেশ কাঁপাচ্ছেন সৈয়দ মোদি। আটবারের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন। মেয়েদের মধ্যে সেরা অমিতা সিং। দুজনের বাধাহীন প্রেম তখন ‘টক অব দ্য টাউন’। রক্ষণশীল লক্ষ্ণৌয়ে হিন্দু-মুসলমানের সেই প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়াল। তারপর শুরু হলো জটিলতা। আসরে হাজির সঞ্জয় সিং। অমিতার মধ্যে সঞ্জয় কী দেখেছিলেন তিনিই জানেন। শুরু হয়ে গেল আর এক উদ্দাম প্রেমকাহিনি।লক্ষ্ণৌর রাস্তায় আচমকাই মারা যান সৈয়দ মোদি। ১৯৮৮ সালে। কানাকানি শুরু হয়ে গেল, সৈয়দকে খুন করা হয়েছে। খুনের ষড়যন্ত্র করেছেন সঞ্জয় ও অমিতা! রসাল গল্পের শাখা-প্রশাখা অতঃপর পল্লবিত হতে থাকল। সিবিআইয়ের চার্জশিটে সঞ্জয় ও অমিতার নাম উঠে গেল। শেষমেশ অবশ্য প্রমাণের অভাবে দুজনেই খালাস, যা এ দেশের ধনী ও প্রভাবশালীরা যে সুবিধা অাজন্ম উপভোগ করে অাসছেন।অমিতার সঙ্গে প্রেমপর্ব শুরুর অনেক অাগেই সঞ্জয়ের বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রী গরিমা সিং, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ১৯৮৯ সালে পুত্র অনন্ত বিক্রম ও দুই কন্যা মহিমা এবং শৈব্যাকে নিয়ে গরিমা আমেথির প্রাসাদ ত্যাগ করে লক্ষ্ণৌবাসী হন। ১৯৯৫ সালে সঞ্জয় বিয়ে করে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এলেন অমিতাকে। বহু বছর পর রাজপ্রাসাদ পেল দ্বিতীয় রানিকে। গরিমাও দ্বারস্থ হলেন আদালতের। অভিযোগ, সঞ্জয় তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই অমিতাকে বিয়ে করেছেন। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতে গরিমা সিং বলে যাঁকে হাজির করা হয়েছিল, সেই নারী নাকি তিনি নন। সঞ্জয় সেই অভিযোগ উড়িয়ে বললেন, আইনত বিচ্ছেদ ঘটিয়েই তাঁর এই দ্বিতীয় দারপরিগ্রহণ। গরিমা আদালতকে জানালেন, সঞ্জয়ের দাখিল করা তথ্য-প্রমাণও জাল। তিনি এখনো স্ত্রী। সঞ্জয় এখনো তাঁর বৈধ বিবাহিত স্বামী।মামলার নিষ্পত্তি আজও হয়নি। কিন্তু ঘটনার জাল ছড়িয়েছে বিস্তর।নরেন্দ্র মোদি যে বছর ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হলেন, সেই ২০১৪ সালেই একদিন আচমকা পুত্র অনন্ত বিক্রম, পুত্রবধূ সম্ভাবীর সঙ্গে দুই কন্যাকে নিয়ে গরিমা রাজপ্রাসাদের একটা অংশে এসে উঠলেন। রানিমাকে তাঁর ন্যায্য পাওনা পাইয়ে দিতে সেদিন হাজির ছিলেন আমেথির কয়েক হাজার প্রজা। জনতা সেদিনই ঘোষণা করে, বড় রানিমা গরিমাই আমেথির প্রকৃত রানি। তাঁর ন্যায়বিচারের সঙ্গী তাঁরাও।অনেক চেষ্টা করেও সঞ্জয় সিং গরিমাকে প্রাসাদ থেকে সরাতে পারলেন না। একই প্রাসাদের দুই কোনায় দুই রানির সংসার।অন্য একটা ঘটনাও ঘটে গেল। আমেথির পরমহংস অাশ্রমের পূজনীয় স্বামী দিনেশানন্দজি মহারাজ গরিমার পাশে এসে দাঁড়ালেন। রাজ্যবাসীকে জানালেন, গরিমার সংগ্রামে তাঁর আশীর্বাদ রয়েছে। তিনি রয়েছেন গরিমার পক্ষে।রাহুলকে ভোটে হারাতে স্মৃতি ইরানি তখন আমেথি চষে বেড়াচ্ছেন। বিজেপি নেতাদের বোধোদয় তখনই। গরিমার মধ্যে তাঁরা এক ‘ফাইটার’-এর সন্ধান পেয়ে যান। গরিমার রাজনীতিকরণের সেই শুরু। বিজেপি ঠিক করে নেয়, আমেথি বিধানসভায় গরিমাই হবেন তাদের তুরুপের তাস।গরিমার মধ্যে অনেক ‘কিন্তু কিন্তু’ ছিল। ডামি প্রার্থী হিসেবে বিজেপি সে জন্য দাঁড় করিয়ে দেয় রাজপুত্র অনন্ত বিক্রমকে, যাতে মা রাজি না হলে ছেলেকে সমর্থন দিতে পারে। শেষ বেলায় গরিমা রাজি হন, অথচ অনন্ত বিক্রমও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন না। খাতা-কলমে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী।কাহিনিটা তা হলে দাঁড়াচ্ছে এ রকম, ছোট রানি কংগ্রেসের অমিতা সিংয়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী বড় রানি গরিমা। স্বতন্ত্র প্রার্থী বড় রানির একমাত্র পুত্র অনন্ত বিক্রম। দুই প্রার্থীর স্বামী এক ও অদ্বিতীয় রাজা সঞ্জয় সিং, যিনি আসাম থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য হিসেবে এবং বেশ কিছু বছর যিনি বিজেপির ঘরও করেছেন।এই মূল কাহিনির পাশে একটা পার্শ্ব প্লটও আছে। সেটা যাঁকে কেন্দ্র করে, তিনি আমেথির বর্তমান বিধায়ক গায়ত্রী প্রসাদ প্রজাপতি। গত ভোটে কংগ্রেসের অমিতা সিংকে হারিয়ে তিনি মুলায়ম মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগের পাশাপাশি এসে যায় ধর্ষণের এক মারাত্মক অভিযোগও।জোটে কংগ্রেসকে আসনটি ছাড়া হলেও মুলায়ম সিং ঘনিষ্ঠ গায়ত্রী প্রসাদ আমেথিতে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী। গায়ত্রী প্রসাদ নাছোড়বান্দা। ভোটের লড়াই তিনি লড়বেনই। অখিলেশ কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এই পরিস্থিতিতে অখিলেশের হাত শক্ত করে দেন খোদ সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ অাদালতের নির্দেশ, অবিলম্বে গায়ত্রী প্রসাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা শুরু করতে হবে।সোমবারের ছবিটা একটু বলি। অখিলেশ প্রচারে এসেছেন আমেথিতে। সমাজবাদী-কংগ্রেসের যৌথ মঞ্চ। জনসভায় আসার আগেই তাঁর নির্দেশে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে হলো গায়ত্রী প্রসাদ প্রজাপতিকে। অখিলেশ একটিবারের জন্যও গায়ত্রী প্রসাদকে ভোট দিতে বললেন না। মঞ্চের নিচে কাঁদতেই থাকলেন সমাজবাদী পার্টির আমেথির সরকারি প্রার্থী!আমেথি লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচটি আসনই এবার কংগ্রেস-সমাজবাদী জোট ছেঁকে নেবে কি না, সেই আগ্রহ ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠছে দুই রানির লড়াই। বড় রানি মাথায় ঘোমটা টেনে দুই হাতে আঁচল ছড়িয়ে প্রজাদের ভোটভিক্ষা করছেন, ‘আমার সম্মানটুকু শুধু ফেরত দিন। আমার ন্যায্য লড়াইয়ে সঙ্গ দিন।’ একই কথা গরিমার দুই কন্যার মুখেও। ‘২৪ বছর ধরে বাবাকে বাবা ডাকতে পারি না। অথচ শৈশব-কৈশোরে বাবাই ছিলেন আমাদের ধ্যান-জ্ঞান!’বসে নেই অমিতা সিংও। এই আমেথি থেকে ২০০২ সালে বিজেপির হয়ে ও ২০০৭ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। ২০১২ সালে গায়ত্রী প্রসাদ প্রজাপতির কাছে হার। এবার ফের জিততে চান। তিনি প্রচার করছেন, ‘বিজেপির চক্রান্তে রাজপরিবারের সম্মান আজ ধুলোয় মিশেছে। আমেথির মানুষ এর জবাব দিক।’কী জবাব দেবেন ‘প্রজারা’? রাজপ্রাসাদের ঠিক বাইরে সারি সারি ঘোড়ানিমের তলায় প্রজাদের জটলা। সুরেন্দ্রনাথ উপাধ্যায়, হাবিব ঠিকাদার, ঘনশ্যাম তিওয়ারি, পালানিরাম, মনোজ শর্মা, পালঙ্ক গুপ্তা, গোপীনাথ সিংরা বিভ্রান্ত। কী করবেন তাঁরা? বড় রানিমার কান্না ঘোচাতে পদ্মফুলে ছাপ দেবেন, নাকি বংশানুক্রমে রাজ অনুগ্রহ পেয়ে আসার দরুন মহারাজ সঞ্জয় সিংয়ের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে হাতে মোহর লাগাবেন?সঞ্জয় লীলা বনসালিকে চুপি চুপি বলি, দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমেথির প্রজারা একমত হয়ে বললেন, ‘আমাদের কাছে এ এক গভীর ধর্মসংকট’। | 296,295 |
মালেকা বেগম | education | শিক্ষা | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৪৬ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০৬:৫৭ | এসএসসি পরীক্ষা বিশেষ সংখ্যা | 0 | উপস্থাপনা হতে হবে সুন্দর | http://www.prothom-alo.com/education/article/129525 | প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিয়ো। ভালো ফলের জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি যেমন ভালো হওয়া জরুরি, তেমনি প্রয়োজন পরীক্ষার খাতায় সুন্দর ও সঠিকভাবে উত্তর উপস্থাপন। তাই তোমাদের ভালো উপস্থাপন মানে পরীক্ষার খাতায় নির্ভুল, মানসম্মত ও প্রশ্নের যথাযথ উত্তর প্রদান করতে হবে। সে জন্য পাঠ্যবই ভালো করে পড়লে সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর করা সহজ হবে। পরীক্ষার খাতা হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও কাটাকাটিমুক্ত। সুন্দর-ঝকঝকে উত্তরপত্র নিশ্চয়ই সব শিক্ষকের পছন্দ। ওভাররাইটিং করবে না। লেখা ভুল হলে এক দাগ দিয়ে কেটে আবার লিখবে। পরীক্ষায় খাতায় উপস্থাপনা হতে হবে সুন্দর।পরীক্ষার খাতায় রোল নম্বর ও প্রয়োজনীয় বিষয় সাবধানে সঠিকভাবে লিখবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব সঠিকভাবে দিলেই ভালো নম্বরও পেতে পারো।প্রধান শিক্ষক, খুলনা জিলা স্কুল, খুলনা | 45,760 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০২ অক্টোবর ২০১৩, ০২:২৪ | ০২ অক্টোবর ২০১৩, ০২:২৬ | খেলা,সাক্ষাৎকার | 0 | ‘শিল্পী না, আমি একজন খেলোয়াড়’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/52265 | টানা তিন বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। সামার ওপেন ব্যাডমিন্টনেও টানা দ্বিতীয়বার দ্বিমুকুট জিতলেন শাপলা আক্তার। পাবনা সংগীত মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীর গানের চেয়ে খেলার প্রতিই বেশি টান ব্যাডমিন্টনে কয়েক বছর ধরে আপনাদের তো কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারছে না। রহস্য কী?শাপলা আক্তার: নতুন খেলোয়াড়ও কিছু উঠে আসছে। তবে ওদের তুলনায় আমরা একটু বেশি অনুশীলন করছি। এ জন্য আমাদের সাফল্য আসছে। এটা তো র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্ট। এখানকার সেরাদের সুযোগ দেওয়ার কথা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। অভিযোগ আছে, আপনারা বঞ্চিত হচ্ছেন।শাপলা: এটা নামেই র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্ট। কিন্তু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে গত কয়েক বছর আমাদের কোনো সুযোগই দেওয়া হয় না। জুনিয়র বিভাগের মেয়েরাই খেলতে যাচ্ছে দেশের বাইরে। আমাদের ছেলেদের সিনিয়ররা তো বঞ্চিত হচ্ছেই, মেয়েদেরও কোনো খোঁজ রাখে না ফেডারেশন। এই র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর আর ১৫ নম্বরে থাকা সমান কথা। এ কারণে নিশ্চয়ই খুব খারাপ লাগে?শাপলা: সারা বছর নিজেদের খরচে প্র্যাকটিস করার পরও যখন দেখি কোথাও পাঠানো হচ্ছে না, আমাদের অনেক কষ্ট লাগে। সর্বশেষ ২০১০ সালে টাটা ওপেন খেলতে ভারতে গিয়েছিলাম। এরপর আমাদের আর কোনো সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। এবার তো টুর্নামেন্টের প্রাইজমানিও কমে গেছে...শাপলা: আমরা খুবই হতাশ। টাকাগুলো হাতে নিতেও লজ্জা লাগে। গতবারের চেয়েও এবার তিন হাজার টাকা করে কম পেয়েছি। আমাদের কেডস, জার্সি, র্যাকেট, কর্কের অনেক দাম। এগুলো কিনতে গেলে আমাদের হাতে কিছুই থাকে না। যতটুকু পারে সাহায্য করে ক্লাব। আমরা এখনো খেলছি শুধু খেলাটা ভালোবাসি বলেই। আপনারা দুই বোন তো একসঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতেন। ইদানীং আপনার বড় আপাকে তো দেখা যায় না?শাপলা: আমার বড় আপু শাফিনা এবং আমাকে খেলায় এনেছেন হাওয়া চাচি। স্কুলে আমি ভালো ব্যাডমিন্টন খেলতাম। চাচি হ্যান্ডবল আর ব্যাডমিন্টন দল নিয়ে ঢাকায় আসতেন। ২০০৫ সালে জুনিয়রে আমি আর আমার বড় আপু খেলেছিলাম। আপু এরপর ভলিবলও খেলেছে কয়েক বছর। কিন্তু লেখাপড়ার জন্য খেলাটা ছেড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ গেমসের প্রায় ছয় মাস পর আরেকটি টুর্নামেন্ট হলো। মাঝের সময়টাতে কী করেছেন, মানে লম্বা বিরতিতে কী করেন আপনারা?শাপলা: খেলা না থাকলে খুব খারাপ লাগে। কিন্তু নিজের উদ্যোগে প্র্যাকটিসটা চালিয়ে যাই। কোথায় অনুশীলন করেন, পাবনাতেই?শাপলা: পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাদের অনুশীলনের কোনো সুযোগই দেয় না। কেন?শাপলা: বলা হয়, তুমি পাবনার মেয়ে হয়ে কেন নারায়ণগঞ্জ আর নিট কনসার্নের জার্সিতে খেলবে। আমাদের কথা, ন্যাশনালে আমাদের শুধু জার্সি আর র্যাকেট দিলে তো খেলব না। আমাদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতারও দরকার আছে। অন্য সহযোগিতারও দরকার আছে। নিট কনসার্ন এগুলো দিয়ে পাবনার চার-পাঁচজন খেলোয়াড়কে বাঁচিয়ে রেখেছে। নিট কনসার্ন কেমন সুযোগ-সুবিধা দেয়?শাপলা: আমি নিট কনসার্নের খেলোয়াড় বলেই বলছি না, ওদের আন্তর্জাতিক মানের একাডেমি আছে নারায়ণগঞ্জে। নিজস্ব আবাসন ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। সেখানে সারা বছর নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করছি। আপনি তো একজন সংগীতশিল্পী। গানটা কি ছেড়ে দিয়েছেন?শাপলা: (হাসি) আমি পাবনার শহীদ সাধন সংগীত মহাবিদ্যালয় থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি। ওখানে গানের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে হয়। এ জন্য চর্চাও করা লাগে। তবে গান গাইতে নয়, শুনতেই বেশি ভালো লাগে আমার। বেশি ভালো লাগে খেলতে। আমি শিল্পী না, আমি একজন খেলোয়াড়।মেসির বিকল্প ইকার্দিচোট মাঠের বাইরে ছিটকে দিয়েছে লিওনেল মেসিকে। আর্জেন্টিনার মন খারাপ করার এই কারণটাই একজনের জন্য বয়ে এনেছে সৌভাগ্য। মাউরো ইকার্দির সামনে খুলে গেছে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের দরজা। ইন্টার মিলানের ২০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার প্রথমবারের মতো ডাক পেলেন জাতীয় দলে।পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে আর্জেন্টিনা ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। তার পরও গত শুক্রবার বাছাইপর্বের শেষ দুটি ম্যাচের জন্য মেসির নেতৃত্বে পূর্ণ শক্তির দলই ঘোষণা করেন কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা। বুয়েনস এইরেসে সাবেলার দল পেরুর মুখোমুখি হবে ১১ অক্টোবর। এর চার দিন পর যাবে উরুগুয়েতে। কিন্তু লা লিগায় আলমেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ঊরুতে চোট পান মেসি। দুই থেকে তিন সপ্তাহ তাঁকে থাকতে হবে মাঠের বাইরে। যার অর্থ, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ দুটি ম্যাচে তিনি অনিশ্চিত। রয়টার্স।কোচ সাবেলা তাই মেসির বিকল্প হিসেবে গত পরশুই দলে ডেকেছেন ইকার্দিকে। কাকতালীয় ব্যাপার! এই ইকার্দির জন্মও মেসির শহর রোজারিওতে। মেসির মতো খেলেছেন বার্সেলোনার যুবদলেও। | 21,131 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৩ | ২৫ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৪ | মহানগর | 0 | রাজশাহীতে আজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/611884 | বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী: জেলা পর্যায়ে সরকারি ক্রয় তথা ই-জিপি-বিষয়ক এক দিনের সচেতনতামূলক কর্মশালা, নগরের গণকপাড়ায় অবস্থিত হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালে, সকাল নয়টায়। | 162,945 |
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ মার্চ ২০১৭, ০০:৪৭ | ১৯ মার্চ ২০১৭, ০০:৪৮ | বাঞ্ছারামপুর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | চেক বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1112389 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ওয়াই সেতু নির্মাণ করার জন্য অধিগ্রহণ করা জায়গার মালিকদের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। ইংরেজি ‘ওয়াই’ আকৃতির কারণে এটাকে ওয়াই সেতু বলে। চরলোহনিয়ায় ওয়াই সেতুর ওপর গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে এলজিইডির এ আয়োজনে ১৮ জন জমির মালিককে ১ কেটি ১৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। উপজেলা প্রকৌশলী এ বি এম খোরশেদ আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ এ বি তাজুল ইসলাম। | 304,351 |
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ মার্চ ২০১৭, ০০:১৯ | ০৬ মার্চ ২০১৭, ০০:২০ | বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | নির্বাচন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1098400 | বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনার, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির দায়িত্ব পালন করা হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে ৭টি পদের জন্য ২০ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। | 300,102 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৭ | ২১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১৭ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ | 0 | ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক খুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/836065 | মেরাদিয়ায় গতকাল বুধবার রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মো. রানা (২২) নামের এক অটোরিকশাচালক খুন হয়েছেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১০টার দিকে মেরাদিয়ার শুক্কুর গার্মেন্টসের কাছে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অটোরিকশাচালক রানার পথরোধ করে। একপর্যায়ে তারা রানার বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান রানার ভাই রেজাউল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সোহেল নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে রানার দ্বন্দ্ব ছিল। তবে এ কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কি না, তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। ঘটনা তদন্তকারী খিলগাঁও থানার এএসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা রানার ওপর হামলা চালায়। কী নিয়ে এ ঘটনা তা জানা যায়নি। | 222,236 |