author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:২৪
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:২৫
-1
0
দুই মাসে ৫ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1318696
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৪ শতাংশ।গতকাল রোববার পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এডিপির অগ্রগতি নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর একই সময়ে খরচ হয়েছিল ৪ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। বছর শেষে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয়সহ চলতি অর্থবছরে মোট এডিপির মোট আকার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা।
337,627
বাসস, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৫৪
২২ নভেম্বর ২০১৮, ১২:২৩
সরকার,শেখ হাসিনা,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
null
মিথ্যা কখনোই সত্যকে ঢাকতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1556647
মিথ্যা সত্যকে ঢেকে রাখতে পারে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাড়া কখনোই বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হতে পারে না। কারণ, বাংলাদেশের গৌরবময় ঐতিহ্যের মূল অংশজুড়েই আছেন জাতির পিতা।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের গোপন নথি নিয়ে ১৪ খণ্ডের বইয়ের প্রথম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক বইটির এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।আজ শুক্রবার বিকেলে গণভবন প্রাঙ্গণে বইটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জাতির জনকের স্বপ্নের সমৃদ্ধ দেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের পথের ইতিহাস অনুসরণ করবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এখন দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে এবং তারা দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভিত্তি করেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।’ তিনি বলেন, ‘একটি মিথ্যা কখনোই সত্যকে ঢেকে রাখতে পারে না। জাতির পিতাকে ছাড়া কখনোই বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হতে পারে না। কারণ, বাংলাদেশের গৌরবময় ঐতিহ্যের মূল অংশজুড়েই রয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ৪৬টি ফাইলে ৪০ হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রচিত ১৪ খণ্ডের প্রথম খণ্ড শুক্রবার প্রকাশিত হলো। এ খণ্ডে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন, সংগ্রাম, ভাষণ, গতিবিধি ও কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন তথ্য সংযোজিত হয়েছে।পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে কীভাবে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার বিশাল এ তথ্যভান্ডারকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের ২২ সদস্যের একটি দলের সাহায্যে নথি হিসেবে প্রস্তুত করেন, তার বৃত্তান্ত তুলে ধরেন।ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অন্যদের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) দায়িত্ব পালনের সময় এসব গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংগ্রহে সহায়তাকারী বর্তমান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্যসচিব শেখ হাফিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান, হাক্কানী পাবলিশার্সের প্রকাশক গোলাম মোস্তফা।জাতির পিতার বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সেসব গোপন নথি বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা।ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে অমূল্য এসব ডকুমেন্ট দেশ, জাতি ও বহির্বিশ্বে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াসে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক ১৪ খণ্ডে বই আকারে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় ভাষা আন্দোলনসহ বাঙালির স্বাধীনতার ধারাবাহিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসংবলিত বইয়ের প্রথম খণ্ডের (১৯৪৮-১৯৫০) প্রকাশ হলো শুক্রবার।বইটির প্রকাশক হাক্কানী পাবলিশার্স। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বইটির এডিটিংসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধান, বিদেশি কূটনৈতিক, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
375,934
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৩:০০
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৩:০১
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
মাংসের দাম নিয়ে অরাজকতা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1085787
মাংস ব্যবসায়ীদের ছয় দিনের ধর্মঘট শেষ হয়েছে গত শনিবার। তবে গরুর মাংস নিয়ে অরাজকতা কাটেনি। উল্টো মাংসের দাম বেড়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাংসের দাম বিভিন্ন রকম। এক কেজি গরুর মাংসের দাম কোথাও ৫৩০, কোথাও ৪৮০, কোথাও-বা ৪৬০ টাকা।ধর্মঘটের আগে গরুর মাংসের প্রতি কেজির মূল্য ছিল ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকা। ধর্মঘট শেষ হওয়ার পর ইচ্ছেমতো দাম রাখা হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই তাঁরা এখন যেমন খুশি দাম রাখছেন। এদিকে মাংসের বাজার নিয়ে অস্থিতিশীলতার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একে অপরকে দুষছেন। মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে ইজারাদারেরা পশুর হাটে নির্ধারিত খাজনার চেয়ে চার-পাঁচ গুণ আদায় করছেন। অন্যদিকে, ইজারাদার পাল্টা অভিযোগ করে বলছেন, মাংস ব্যবসায়ীরা হাট থেকে পশু কিনে হাটের বাইরে ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করে খাজনার টাকা থেকে কমিশন নিচ্ছেন। এতে ইজারাদারেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘট শুরু করে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত হারে খাজনা, বৈধভাবে ভুটান ও মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি, ট্যানারি স্থানান্তর করে চামড়া বিক্রির সুযোগ ও ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল ইসলাম ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের অপসারণ এবং গরু আনায় চাঁদাবাজি বন্ধ। এসব দাবি বাস্তবায়ন করা হলে ৩০০ টাকা দরে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা যাবে বলে জানিয়েছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘট স্থগিত করেন তাঁরা। শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ না থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাণিজ্যসচিব দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে প্রথম আলোকে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। তিনি অভিযোগ করেন, আশ্বাস পেলেও বাড়তি খাজনা আদায় করা হচ্ছে গাবতলীর গরুর হাট থেকে। ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হকের সঙ্গেও কোনো বৈঠক হয়নি তাঁদের। তাই বাড়তি দামে গরু কিনতে হচ্ছে। মাংসের দামও সে কারণে বেশি। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে কর্মরত সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন তার দায়িত্ব পালন করছে না। তাদের কারণেই আজ ভোক্তাদের কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। পশুর হাটে গিয়ে পর্যবেক্ষণ দল সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখতে পারে। পশু সরবরাহের বিষয়টিও নজরদারিতে আনা উচিত। যখন পশু বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয়, তখন তল্লাশির নামে ব্যাপারীদের হয়রানি করা হয়। সেগুলোর বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এখন মাংস ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের নামে উল্টো মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। নগরবাসী যেন কম দামে মাংস কিনতে পারে, সে জন্যই গরু, মহিষ ও ছাগলের খাজনায় ছাড় পান মাংস বিক্রেতারা। তবে এর সুবিধা নগরবাসীর মিলছে না। ফায়দা তুলছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। এমনই মনে করেন ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ জন্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতা সবার জন্য খাজনার হার ১ শতাংশের প্রস্তাব মেয়র আনিসুল হকের কাছে দেওয়া হয়েছে। খাজনা পুনর্নির্ধারণের জন্য মাংস ব্যবসায়ী, ইজারাদার ও ডিএনসিসির একটি বৈঠক আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরবরাহ ঠিক থাকলে এক-দুই দিনের মধ্যে দাম এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। হাসিলের মূল্য পুনর্নির্ধারণে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
295,558
মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, আনোয়ারা
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫০
২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৩
আমার চট্টগ্রাম
0
স্বাস্থ্যকেন্দ্রই এখন রোগী!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1064387
* এক্স-রে ও অস্ত্রোপচার হয় না। চিকিৎসকদের শীর্ষ দুটি পদও খালি। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি। * স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে আনোয়ারা ছাড়াও পাশের উপজেলা চন্দনাইশ ও বাঁশখালীর অনেকে চিকিৎসা নেনআনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক্স-রে ও অস্ত্রোপচার হয় না। চিকিৎসকদের শীর্ষ দুটি পদও খালি। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি। আর পানির সমস্যা তো রয়েছেই। এতসব সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রই এখন রোগী হয়ে আছে।স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্র জানায়, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে আনোয়ারা ছাড়াও পাশের উপজেলা চন্দনাইশ ও বাঁশখালীর অনেকে চিকিৎসা নেয়। প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নেয় প্রায় ১০০ জন রোগী।১৫ জানুয়ারি দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অস্ত্রোপচার ও এক্স-রে কক্ষে তালা লাগানো। বহির্বিভাগে কমপক্ষে ৬০ জন রোগী চিকিৎসার নেওয়ার অপেক্ষায়। কেউ কেউ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হচ্ছে। ওই দিন অন্তর্বিভাগে ভর্তি আছে ৩১ জন।কথা হয় পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী বৈরাগের গুয়াপঞ্চক গ্রামের বাসিন্দা আবদুর নুরের (২৭) সঙ্গে। তিনি জ্বর ও বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুদিন আগে। তিনি বলেন, এক্স-রেসহ ডাক্তারের দেওয়া সব পরীক্ষা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করানো হয়েছে। হাসপাতালে এক্স-রে থাকলে রোগীদের জন্য সুবিধা হতো।স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্র জানায়, ৩১ শয্যার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২০০৬ সালের ১৬ মার্চ ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। স্থাপিত হয় অস্ত্রোপচার কক্ষ। কিন্তু গত ১০ বছরে একটি অস্ত্রোপচারও হয়নি। এ ছাড়া ২০১৫ সালের মার্চ থেকে এক্স-রে যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে গেলে এটি আর মেরামত হয়নি। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিকল হয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্সটি। এদিকে চার মাস ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (আরএমও) পদটি শূন্য আছে। ওই পদে বিভিন্ন সময়ে কমপ্লেক্সের বিভিন্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তা ছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদটি শূন্য হলে ওই পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে মো. হুমায়ূন কবিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ২০ দিন ধরে তিনিও ছুটিতে থাকায় ওই পদে দায়িত্ব পালন করছেন পৃথ্বীরাজ কর। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৩৩ জন চিকিৎসকের মধ্যে জুনিয়র কনসালট্যান্টের তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। প্রেষণে আছেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি), স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইএমও) ও দুজন সহকারী সার্জন। এর বাইরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে একজন, প্রশিক্ষণে একজন ও আরেকজন ইস্তফার আবেদন করেছেন। দ্বিতীয় শ্রেণির ২২টির মধ্যে চারটি, তৃতীয় শ্রেণির ৮৪ জনের মধ্যে ২২টি ও চতুর্থ শ্রেণির ২৩টির মধ্যে ৬টি পদ শূন্য।জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত আরএমও মোহাম্মদ মিজবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স, এক্স-রে যন্ত্র, অপারেশন থিয়েটার এখন অকার্যকর। পাশাপাশি পানির সমস্যাও আছে। এসব সমস্যা সম্পর্কে সিভিল সার্জন কার্যালয় অবগত আছে।একই কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পৃথ্বীরাজ করও।
285,886
আনোয়ার হোসেন ও আহাদ হায়দার, বাগেরহাট থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ মার্চ ২০১৬, ০২:১৯
০৪ মার্চ ২০১৬, ০২:২০
বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ,রাজনীতি
0
বাগেরহাটে ‘জান বাঁচানো’ আগে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/788524
বাগেরহাটে দুই উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলার ১৩টি ইউপির সব কটিতেই কেবল আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাঁদের বাইরে আর কেউ প্রার্থী হননি।অন্য উপজেলার যেসব ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী আছেন, সেখানেও তাঁরা এলাকাছাড়া বা অনেকটা চুপচাপ। সদরে ১০টির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মাত্র একটিতে।এই অবস্থায় এ জেলার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার পথে। ‘জান বাঁচানো ও এলাকাছাড়া’ হওয়ার ভয়ে বিএনপিসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দলের অনেকের প্রার্থী না হওয়া এবং প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নিকট অতীতে এ জেলার একটি ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার নজির নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার এ হিড়িকে এখনই অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে আসন্ন ২২ মার্চের ভোটের রং।বাগেরহাটে প্রথম ধাপে ভোট হচ্ছে ৭৪টি ইউপিতে। এর মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। এর মধ্যে ১৯টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বাইরে কেউ মনোনয়নই জমা দেননি। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েন সাতটি ইউপির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে আট ইউপিতে।সর্বশেষ ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে বিএনপির ১২ জন ও জামায়াতের দুজন জয়ী হয়েছিলেন। এর মধ্যে বিএনপির চারজন এবার প্রার্থী হয়েছেন। একজন মারা গেছেন। বাকিরা মনোনয়নপত্র জমা দেননি বা প্রত্যাহার করেছেন।বাগেরহাটে কেন এ অবস্থা? স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রার্থী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের এ হালের পেছনে বেশ কিছু কারণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বাগেরহাট-১ আসনের (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিনের ‘সম্মান রক্ষা’। এ তিন উপজেলাসহ জেলার সর্বত্রই তাঁর নিয়ন্ত্রণ। এ ছাড়া রয়েছে প্রতিপক্ষ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বলে পয়সা খরচ না করে চেয়ারম্যান হওয়ার খায়েশ।স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও এ তিন উপজেলায় হয়তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতেন। কিন্তু নেতাকে খুশি করতে গিয়ে অতি উত্সাহী হয়ে কাউকেই প্রার্থী হতে দেননি স্থানীয় নেতারা। এর প্রভাব পড়েছে অন্য উপজেলাগুলোতেও।বাগেরহাট সদরের কাড়াপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলাম। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি। এখানে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। কিন্তু জামায়াতের প্রার্থী মানজুরুল হক রাহাত কারাগারে থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন একটি মামলায় শুনানির জন্য রাহাতকে আদালতে আনা হয়। এজলাসে তোলার আগে বশিরুল তাঁকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে রাজি করাতে সক্ষম হন।জানতে চাইলে বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এলাকায় ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিপক্ষ জামায়াতের প্রার্থী দাঁড়ালে দু-একটা ঘটনা ঘটতে পারত। জামায়াতের প্রার্থীর কর্মীসহ আমি তাদের বুঝিয়েছি। এরপর প্রত্যাহার করেছে। এতে ইতিবাচক দিক হচ্ছে শান্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর টাকা খরচও কিছুটা বেঁচে গেল।’বাগেরহাট সদরের একমাত্র ষাটগম্বুজ ইউনিয়নে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থেকে গেছেন তৌহিদুল ইসলাম ফকির। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তিনি এলাকায় নেই। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ।বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের শেখ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি জিতব এটা নিশ্চিত। এই জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে বসানোর চেষ্টা করি নাই। এখন আমার মতো গরিবের কিছু টাকা খরচ হবে এই আরকি।’মাঠের আরও চিত্র: গত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন—এমন ইউপিতেও এবার বিএনপির প্রার্থী নেই। সদরের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ হাওলাদার। এবার দলের মনোনয়নের জন্য ফরম নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের চাপে দল থেকে মনোনয়নপত্র না দেওয়ার জন্য জেলা ও উপজেলা নেতাদের কাছে তদবির করেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তাঁর নাম প্রস্তাব করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে তড়িঘড়ি করে শরাফত হোসেন নামে এক নতুন প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর (শরাফত) অভিযোগ, তাঁকে মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে কেড়ে দেওয়া হয়। এখন শরাফত এলাকায় খুব একটা থাকছেন না।‘আপনার নামে তো কোনো মামলা নেই। তাহলে ভয় কিসের’—এমন প্রশ্ন করা হলে শরাফত বলেন, ‘জানের ভয় আছে না?’বারুইপাড়া ইউনিয়নের সর্বশেষ চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপির শেখ শওকত হোসেন। কয়েক মাস আগে তিনি মারা যান। এবার এখানে বিএনপি প্রার্থী করেছিল সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বিশ্বাসকে। তিনি মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই দুই দফা রাতে তাঁর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। প্রতিপক্ষও চাপ দিতে থাকে। পরে প্রত্যাহার করে নেন।জানতে চাইলে নিয়ামত আলী বলেন, ‘চাপে থাকতে পারি নাই। কার চাপে এটা জানতে চাইয়েন না। তাহলে জানে বাঁচব না।’মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রত্যাহার করে নেওয়া এক প্রার্থী বলেন, সদ্যসমাপ্ত বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় মিনা হাসিবুল হাসান এখন কারাগারে। এখন ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী হলে ‘জানে মেরে ফেলবে’। আর সামনে তো বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে সে রকম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় কর্ম করে খেতে হবে না?নেতারা কী বলছেন: জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম দেশের বাইরে। যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁর দলের অনেকের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ছিনতাই করা হয়েছে। পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিতলমারী ও মোল্লাহাটে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছিলেন, যাতে কেউ জমা না দিতে পারেন।মামলা বা জিডি করা হলো না কেন জানতে চাইলে এম এ সালাম বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২০০টির বেশি মামলা চলছে। আসামি হাজার হাজার। মামলা বা জিডি করতে গেলে উল্টো ধরে ফেলে। দলে কোন্দলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে ঢাকায় থেকে সরকার দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের লোকদের কোণঠাসা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন। এঁরাই দলে কোন্দল দেখেন।’অবশ্য জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম খান অভিযোগ করলেন, দলীয় প্রার্থী না থাকার মূল কারণ জেলা নেতৃত্বের অযোগ্যতা। জেলা সভাপতি পকেট কমিটি করেছেন সব স্থানে। সবাই সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন।তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান বলেন, ‘মামলা দিয়ে, ঠ্যাং ভেঙে, মারধর করে কিংবা ধরে এনে কাউকে প্রার্থী না হওয়ার কথা বলা হয়েছে এমন একটা উদাহরণও কেউ দিতে পারবে না। আসলে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। বিএনপি পরাজিত শক্তি হিসেবে হারিয়ে গেছে। ইউপিতে আমাদের নেতা-কর্মীরা মুভ করার পর তারা মাঠ ছেড়ে দিয়েছে।’
207,532
শরিফুল ইসলাম
life-style
জীবনযাপন
০৮ জুন ২০১৬, ০১:০১
০৮ জুন ২০১৬, ০১:০২
পরামর্শ,অধুনা
null
চুল পড়া কমছে না?
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/881467
মাথার চুল পড়া নারী-পুরুষের সাধারণ একটি সমস্যা। মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়লে এবং বিষয়টি টাকের পর্যায়ে চলে গেলে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। এ নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। প্রথমেই জানা প্রয়োজন ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার অংশ। চুল আঁচড়ানোর সময় চিরুনিতে চুল দেখে আঁতকে ওঠার কোনো দরকার নেই। চুল প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি করে বড় হয় | স্বাভাবিকভাবে একটি চুল দুই থেকে চার বছর পর্যন্ত বড় হতে থাকে। এরপর বৃদ্ধি কমে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের প্রধান রাশেদ মো. খান বলেন, সাধারণত খুশকি, অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন, দুশ্চিন্তা ও চুলে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করার জন্য চুল পড়ে।কীভাবে বুঝবেন চুল পড়ছে?প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টির বেশি চুল পড়লে বুঝবেন চুল পড়ছে। বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুনতে চেষ্টা করুন। পরপর তিন দিন এটি করতে হবে। অল্প একগোছা চুল হাতে নিয়ে টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুলই উঠে আসে, তবে তা চিন্তার বিষয়।কী কী কারণে চুল পড়ে?অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন নারীর চুল পড়া ও পুরুষের টাকের বড় কারণ। যাঁদের শরীরে এই হরমোনের প্রভাব বেশি, তাঁদেরই বেশি করে চুল পড়ে। নারীর মেনোপজের সময় পরে অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন আনুপাতিক হারে বেড়ে যায় | তখন হঠাৎ চুল বেশি করে পড়তে শুরু করে।ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকি হলেও চুল পড়ে। সে ক্ষেত্রে ছত্রাকরোধী শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করতে হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হতে পারে। সংক্রমণ ভালো হয়ে গেলে আবার চুল গজাবে।শরীরের পুষ্টির ওপর চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। দৈনিক খাদ্যতালিকায় আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ ও ভিটামিন পরিমিত পরিমাণে না থাকলে চুল পড়ে যায়। শরীরে দীর্ঘদিন কোনো একটি উপাদানের অভাবে চুল পড়তে পারে |দুশ্চিন্তায় বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়তে পারে। তবে এই চুল পড়া সাময়িক। আবার চুল গজায়। দীর্ঘদিন মানসিক সমস্যা বা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।হরমোনের কমবেশি হওয়ার কারণে চুল পড়ে অনেকের। যেমন: থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কম বা বেশি হলে, গর্ভকালীন ও সন্তান জন্মের পর হরমোনাল ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়। তখন চুল বেশি পড়ে। হরমোনের এ পরিবর্তন আবার আগের অবস্থায় গেলে চুল পড়া কমে যায়। এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসতে এক বছরের মতো সময় লাগে।ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়ার পর চুল ওঠে। কেমোথেরাপির প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই-তিন সপ্তাহ পর চুল পড়া শুরু হয়। কেমোর সর্বশেষ ডোজের তিন-চার মাস পর আবার গজানো শুরু হয়।চুলের বিশেষ কোনো স্টাইলের জন্য যদি দীর্ঘদিন খুব টেনে আঁটসাঁট করে চুল বাঁধা হলে, খোঁপা বা ব্যান্ড ব্যবহার করলে চুল পড়ে। দীর্ঘদিন এক রকম চুল বাঁধার কারণে চুল পড়ে। খুব বেশি পরিমাণে চুল রঙিন করার প্রসাধন, চুল সোজা করা বা ক্রমাগত রিবন্ডিং করলে চুল পড়তে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ফলিকল গ্রন্থি, মানে যে গ্রন্থি থেকে চুল হয় সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুল গজায় না।রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস, জন্ডিস, টাইফয়েড হলে চুল পড়ে। আবার ঠিক হয়ে যায়।বড় কোনো অস্ত্রোপচার বা ওষুধের প্রতিক্রিয়া থেকে চুল পড়ে অনেকের। সুস্থ হওয়ার চার থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে চুল আগের অবস্থায় ফিরে যায়।জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, রক্ত তরলীকরণের ওষুধ, হরমোন, মানসিক সমস্যার ওষুধ সেবন করলেও চুল পড়তে পারে।চিকিৎসাকী কারণে চুল পড়ছে তা নির্ধারণ করে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। চুল পড়া রোধ বা কমাতে হলে চুল নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে। যেকোনো ওষুধ নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।লেখক: চিকিৎসক
230,229
ময়মনসিংহ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:১৩
০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:১৪
ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
ত্রিশালে যুবলীগের নেতা হত্যার বিচার দাবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/729268
ময়মনসিংহের ত্রিশালে যুবলীগের নেতা পারভেজ হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছেন নিহত ব্যক্তির পরিবার ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এই দাবিতে তাঁরা গতকাল শনিবার পৌর শহরের দরিরামপুর এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের চরপাড়া এলাকায় নিজের বাড়ির কাছে পারভেজকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে।নিহত ব্যক্তির পরিবার ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ (২৫) আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সরকারের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী এ বি এম আনিছুজ্জামান। শুক্রবার বিকেলে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে আনিছুজ্জামানের কর্মীরা উজান চরপাড়া এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা করেন। ওই ঘটনায় শুক্রবার রাতে পৌর যুবলীগের সদস্য আবদুর রহমান ওরফে বিপ্লব ত্রিশাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই তাঁরা (আনিছুজ্জামানের সমর্থক) আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল। তবে হুমকি মানে যে মেরে ফেলবে এটা আমরা ভাবতেও পারিনি।’ দেলোয়ার আরও বলেন, শুক্রবার রাতে পারভেজসহ তাঁরা চারজন একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। চরপাড়া এলাকায় পারভেজের বাড়ির সামনে এলে ২০-২৫ জন রামদা দিয়ে তাঁদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। এ সময় পারভেজ পা পিছলে পড়ে গেলে তাঁকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অন্যরা সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার অপরাধে আনিছুজ্জামানের কর্মীরা আমার কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরেই শুক্রবার রাতে পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’গতকাল বিকেলে পারভেজের দাফন শেষে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা পৌর শহরের দরিরামপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় তাঁরা পারভেজ হত্যার বিচার দাবি করেন।বিজয়ী মেয়র প্রার্থী এ বি এম আনিছুজ্জামান মুঠোফোনে দাবি করেন, ‘পারভেজ যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আর হত্যার সঙ্গে আমার কর্মীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ভিত্তিহীন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পারভেজকে হত্যা করা হতে পারে। আশা করি, পুলিশ তদন্ত করে কারণ উদ্ঘাটন করবে।’ত্রিশাল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনের নাম পুলিশের কাছে রয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে মাজহারুল ইসলাম ওরফে সুমন ও চান মিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
189,026
-1
international
আন্তর্জাতিক
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৫২
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৫৩
আফ্রিকা
0
প্রধানমন্ত্রী হতে পারলেন না তিনি
http://www.prothom-alo.com/international/article/1047961
রোমানিয়ার প্রথম মুসলিম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছিলেন সেভিল শাইদেহ। নির্বাচনে বিজয়ী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি তাঁকে মনোনীত করলেও গতকাল মঙ্গলবার তা খারিজ করে দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইউহানিস। কিন্তু কেন তিনি শাইদেহর মনোনয়ন খারিজ করলেন, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ইউরোপজুড়ে যখন মুসলিমবিরোধী মনোভাব বাড়ছে, তখন এর বিপরীতে ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দেশ রোমানিয়ায় মুসলিম নারীকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু মনোনয়ন নিয়ে যত না বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছিল, তাঁর মনোনয়ন খারিজ করে তার চেয়েও বেশি বিস্ময় সৃষ্টি করলেন রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইউহানিস। শাইদেহ এর আগে আঞ্চলিক প্রশাসন ও জনপ্রশাসন-বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।বিবিসি
278,060
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৮
১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৯
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
যানজট নিরসনে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/834013
যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে মহাখালী বাস টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ। গত রোববার সন্ধ্যায় মহাখালী বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেওয়া হয়। সভায় উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) প্রবীর কুমার রায়, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) নাজমুল হাসান, মহাখালী বাস টার্মিনালের সভাপতি আবুল কালাম এবং মহাখালী থেকে চলাচলকারী আন্তজেলা বাসের মালিক ও শ্রমিকনেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সিদ্ধান্ত হয়, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানো, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন জায়গায় পার্কিং এবং নির্দিষ্ট পয়েন্টে গাড়ি ঘোরানো হবে না।
221,531
-1
sports
খেলা
০৯ মার্চ ২০১৬, ০১:৩৯
০৯ মার্চ ২০১৬, ০১:৩৯
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
স্যামিদের প্রেরণা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/793141
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার ঠিক আগে চুক্তি-বির্তক। সে বির্তক পেছনে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করলেও সে দলে নেই ডোয়াইন ব্রাভো, সুনীল নারাইনরা। তবে গতকাল শুরু হওয়া বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য ড্যারেন স্যামিদের প্রেরণা—ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে যাওয়া ক্যারিবীয় যুবারা। বিনি সুতোর মালার মতো ক্রিকেট বেঁধে রেখেছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপপুঞ্জকে—সেটি মনে করিয়ে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলছেন, ‘দল কোনো একটা বড় টুর্নামেন্ট জিতলে তা এই অঞ্চলকেই মেলে ধরে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলই আমাদের প্রেরণা। সিনিয়র দল হিসেবে ওদের ছুঁতে চাই আমরা। এবং সেটির জন্য একটাই পথ—৩ এপ্রিল ট্রফি (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) জেতা’ বললেন ড্যারেন স্যামি। এএফপি।
209,117
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ জুন ২০১৬, ১৭:৪৭
০৭ জুন ২০১৬, ১৭:৫৬
অপরাধ,রাজধানী (জাতীয়)
0
অজ্ঞান-মলম পার্টির ১০ সদস্যকে সাজা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/880921
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের ১০ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সোহেল, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী, শাকিল রানা, ওমর ফারুক, আবদুল খালেক, নান্নু শেখ, বাদশা, বিল্লাহ হোসেন, নজরুল ইসলাম ও মাহবুব শেখ।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়ারী বিভাগের সহকারী কমিশনার মুকিত সরকার ও সহকারী কমিশনার আশরাফ-উল-ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে হামদর্দের হালুয়া, ইসবগুলের ভুসি, চেতনানাশক ওষুধ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে সাধারণ যাত্রী ও পথচারীদের খাবারের সঙ্গে এসব ওষুধ ও হালুয়া মিশিয়ে অচেতন করে টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকার, মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলেন। পরে ডিএমপির নির্বাহী হাকিম মশিউর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
229,810
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:২৮
০৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:২৯
ক্রিকেট
null
অবশেষে অস্ট্রেলিয়া আসছে
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1276296
‘আবহাওয়া’র পূর্বাভাস বলছিল বরফ গলবে। সেটি কাল গলেও গেল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে বিরোধ মিটে গেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সিরিজ নিয়েও আর কোনো অনিশ্চয়তা থাকল না।সিএ ও অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের সংগঠন (এসিএ) কাল নতুন চুক্তি নিয়ে নীতিগতভাবে একমত হওয়ার যৌথ ঘোষণা দিয়েছে। সমস্যার সমাধান হয়েছে সিএ খেলোয়াড়দের দাবি মেনে নেওয়াতেই। স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড, ‘এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমরা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনছি, সম্পর্ক মেরামতের কাজটাও শুরু করছি। বিশেষ করে ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে।’অবশ্য এসিএর প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকোলসনের কথায় এখনো একটু কিন্তু রয়ে গেছে, ‘আমার মনে হয় সবকিছু ঠিক হতে আরেকটু সময় লাগবে। তবে আমরা এখন একসঙ্গে হয়ে খেলাটার ভালোর জন্যই কিছু করব।’ অস্ট্রেলিয়া দলের সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার সমঝোতার পরপরই টুইট করেছেন, ‘যে কাজটা করতে আমরা ভালোবাসি, সেই ক্রিকেট খেলতে আমরা এখন মাঠে নামার অপেক্ষায়।’ ১০ আগস্ট থেকে ডারউইনে বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতিতে নামার কথা অস্ট্রেলিয়া দলের।সিএর সঙ্গে খেলোয়াড়দের বিরোধ মিটে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল বিসিবি। কারণ আসন্ন সিরিজের আগে অস্বস্তির কাঁটা হয়ে ছিল এই বিরোধ। অবশেষে সেটি দূর হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এখন স্বস্তিতে। মিডিয়াপ্রধান জালাল ইউনুসের কথা, ‘আমরা আনন্দিত যে সিরিজটা হচ্ছে। আমাদের খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ হয় না। আমরা ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলব, এটা অনেক বড় ব্যাপার আমাদের জন্য।’ তিনি অবশ্য বলেছেন, সিএর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সমস্যা নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা ছিল না বিসিবির। বরং বিশ্বাস ছিল, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সফরের আগেই মিটে যাবে। ‘সিএ কখনোই আমাদের নেতিবাচক কিছু বলেনি। কোনো সময় তারা এক সেকেন্ডের জন্যও মনে করেনি সিরিজটা হবে না’—বলেছেন জালাল ইউনুস।আর্থিক বণ্টননীতি নিয়ে সিএর সঙ্গে খেলোয়াড়দের বিরোধ ১০ মাস ধরেই চলে আসছিল। ২০ বছর ধরে চলে আসা নীতি অনুযায়ী সিএর রাজস্ব আয়ের একটা ভাগ পেতেন দেশের সব প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। কিন্তু এই নীতি আর সময়োপযোগী নয় দাবি করে সিএ চেয়েছিল খেলোয়াড়দের শুধু উদ্বৃত্ত রাজস্বের ভাগ দিতে এবং সেটাও সবাইকে নয়। ‘পুল’ করে নির্দিষ্টসংখ্যক খেলোয়াড়কে এই অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। বাকি টাকা ব্যয় করতে চেয়েছিল তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে।খেলোয়াড়েরা শুরু থেকেই এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাঁদের উপলব্ধি ছিল, আর্থিক বণ্টনের প্রস্তাবিত নীতি কার্যকর হলে তাঁরা আর সিএর অংশীদার থাকবেন না, পরিণত হবেন কর্মচারীতে। এ কারণে নতুন চুক্তি সই করতে চাননি খেলোয়াড়েরা। আর তাই গত ৩০ জুন পুরোনো চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর একযোগে বেকার হয়ে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার ২৩০ জনের মতো ক্রিকেটার। চুক্তির বিরোধিতা করে তাঁরা বয়কট করেন অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরও।সংশয়ে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ সফর আর অ্যাশেজও। সর্বশেষ গত পরশু অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ঘোষণাই দিয়ে দেন, দাবি না মানা পর্যন্ত কোনো সফর নয়। তবে গতকালের সমঝোতার পর দূর হয়ে গেছে সব সংশয়। আগের সূচি অনুযায়ী ১৮ আগস্ট দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া দল। আর চট্টগ্রাম পর্বের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ দলের কোচ-খেলোয়াড়েরা ঢাকা ছাড়ছেন আজই।
330,662
আসিফ নজরুল
opinion
মতামত
০৭ আগস্ট ২০১৫, ০০:৩০
০৭ আগস্ট ২০১৫, ০০:৩৪
সময়চিত্র,আসিফ নজরুল,লেখকের কলাম,মতামত
null
সাদামাটা মানুষের গল্প
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/595318
সিউল যাব। ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট নেই বলে সিঙ্গাপুর ঘুরে যেতে হবে। ফলে আকাশপথেই থাকতে হবে ১১ ঘণ্টা। এই বিস্ময় সঙ্গে নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর যাচ্ছি।ঈদের ছুটির রেশ তখনো পুরোপুরি কাটেনি। আমার ড্রাইভার জোরে গাড়ি চালাতে পছন্দ করেন। কাজেই ঈদের পরের এই সময়টা তাঁর খুব প্রিয়। কিন্তু সেদিন দেখি তাঁর মুখ ভার। হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে এসে তিনি একটু গলা খাঁকারি দেন। বুঝলাম, এখন হৃদয়বিদারক কণ্ঠে তিনি কিছু বলবেন। এমন গলায় বলা তাঁর অধিকাংশ কথাই আসলে হৃদয়বিদারক হয় না। কিন্তু সেদিন হলো।আমার ড্রাইভারের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার কোনো একটা গ্রামে। সেখানে ঈদের দুই দিন পর পুকুরে একটি মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। মেয়েটি কে, তা কেউ জানে না। কিন্তু সে মারা যাওয়ার সময় সাজগোজ করা অবস্থায় ছিল। গায়ে নতুন কাপড় ছিল। আমার ড্রাইভার এই ঘটনা ঈদের ছুটির পর ফিরেই জানিয়েছিলেন। এখন তিনি জানালেন, এই লাশ নিয়ে পুলিশের তুলকালাম কাণ্ড চলছে গ্রামে। যাকে পাচ্ছে, তাকেই পুলিশ ধরে নিয়ে মামলায় আসামি করার ভয় দেখাচ্ছে। ‘বিশ-চল্লিশ’ হাজার টাকা না দিলে কারও আর রেহাই নেই। এই ভয়ে গ্রামের সব ছেলেরা পালিয়েছে। ভয়ে আমার ড্রাইভারও তাঁর স্কুলপড়ুয়া ১২ বছরের ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। ঢাকায় তাকে এক আত্মীয়ের বাসায় রাখা হয়েছে। এখন তার খাওয়া-পরার জন্য কিছু টাকা দিতে হবে।আমি বললাম, তা নাহয় দেওয়া গেল। কিন্তু ছেলের স্কুলের কী হবে? কত দিন সে এবং তার গ্রামের সব কিশোর-তরুণ পালিয়ে থাকবে? অসহায় বাবা জানালেন মামলার বাদী থাকলে হয়তো নির্দিষ্ট আসামি পাওয়া যেত। সেটি না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের হয়রানি চলবে। কেউ জানে না কবে তা শেষ হবে!আমি ক্ষুব্ধ হয়ে বললাম, বলেন কী, এই অবস্থা দেশে! আমার ড্রাইভার একটু যেন ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেন আমাকে। আমার অজ্ঞানতায় অবাকই হলেন তিনি। ‘গাঁও-গেরামের খবর রাখেন না স্যার!’আসলেই রাখি না। রাজনৈতিক কারণে অবাধে মামলা হয়, অজ্ঞাতনামা শত শত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়, এই সুযোগে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে অজস্র টাকা কামিয়ে নেয় পুলিশ। জমি দখলের জন্য, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য, ফাঁদে ফেলার জন্য মামলা করে ধড়িবাজ বা ক্ষমতাবান মানুষ। মাঝখান থেকে কিছু টাকা পকেটে যায় পুলিশের। কিন্তু যেখানে কলকাঠি নাড়ানোর কেউ নেই, সেখানেও পুলিশের এমন অবাধ বাণিজ্য!দুই.ঈদের দুই দিন পর পলাশী বাজারে গিয়েছি। বাজার থেকে বের হয়ে দেখি রিকশা নেই কোনো। কিছুক্ষণ পর দেখি হেলেদুলে রিকশা চালিয়ে একজন আসছেন। আমি তাঁকে বলি, ফুলার রোড যাবেন? তিনি ফুলার রোড চেনেন না। উদয়ন স্কুল চেনেন না। ব্রিটিশ কাউন্সিল তো নয়ই। ‘ইনভার্সিটি’? তিনি দার্শনিকের মতো ভঙ্গি করে উঠতে বললেন। কোনো কিছু না চিনলেও যেন তাঁর অসুবিধা নেই।রিকশা চলা শুরু হলো। ফাঁকা রাস্তায় তাঁর রিকশা বারবার এদিক-সেদিক বেঁকে যায়। নিশ্চয়ই নতুন রিকশাচালক। কিন্তু না, তিনি জানান দুই মাস ধরে রিকশা চালান! আগে কী করতেন? ‘ব্যবসা’। কি ব্যবসা ভাই? ‘হিরুইন’! আমি চমকে উঠি! হেরোইন? ‘জি তাই!’ আমি আবারও অবাক হয়ে বলি, আপনি হেরোইনের ব্যবসা করতেন? জানেন না এটা কত খারাপ? তিনি পাশ ফিরে তাকান। তাঁর ময়লা ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত বের করে ম্লান হাসেন। তিনি আসলে হেরোইন বিক্রি করতেন। ভালো লাভ হতো। কিন্তু ধরা পড়ে মামলা খেয়েছেন তিনি। অনেক টাকা খরচ করে জামিন নিয়েছেন। এখন তিন-চার বছর ধরে তাঁকে বারবার আদালতে যেতে হয়। এ জন্য প্রচুর টাকা লাগে তাঁর। তিনি শুনেছেন ঢাকায় রিকশা চালালে টাকা বেশি। তাই তাঁর ঢাকা আগমন।এই দীর্ঘ বক্তব্যের পর তিনি উদয়ন স্কুলের পাশে এসে হাঁপাতে থাকেন। রিকশা চালানোয় কিছুটা বিরতি। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি: আপনি নিজে হেরোইন খান? না, খান না। তবে আগে খেতেন। করুণ কণ্ঠে বললেন, ‘ভাই রে, আমার মামলা শেষ হয় না ক্যান!’বিড়বিড় করে তিনি বলেন, যারা বর্ডার থেকে হেরোইন আনে, তারা মামলা খায় না। বর্ডারে আর পুলিশকে টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে। মামলা খায় শুধু তাঁর মতো বিক্রেতারা! আমি তাঁকে বলি, আপনি আর কখনো এসব করবেন না। করবেন?তিনি নির্দ্বিধায় বলেন, ‘শরীর কুলাইলে করুম না!’ আমি রিকশা থেকে নেমে পড়ি। রিকশা চালানোর কষ্ট সহ্য করতে না পারলে তিনি আবার হেরোইন বিক্রি করবেন। আমার কিছু করার নেই! এই রাষ্ট্রের কারোরই কি কিছু করার আছে!তিন.তৃতীয় ঘটনাটি যাকে নিয়ে, সেই রাসেল আমারই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র। সে লালবাগের গোর-এ-শহীদ মাজারের কাছে কয়েক মাস আগে নতুন এক রেস্টুরেন্ট দিয়েছে। পুরান ঢাকায় এ ধরনের রেস্টুরেন্ট একটু ব্যতিক্রম। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ভেতরের সাজসজ্জায় নান্দনিকতা, হোটেলে কাজ করা তরুণদের স্মার্ট ব্যবহার। ঈদের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে আমি ও আমার স্ত্রী সেখানে গেলাম কিছুদিন আগে। আমাদের দেখেই রাসেল ছুটে এল। রোজার সময় দেখেছি এখানে মানুষের ভিড়। এখনো একই অবস্থা। আমি তাই হৃষ্ট গলায় বললাম, তোমার ব্যবসা তো ভালো জমে উঠেছে! রাসেল ক্ষুণ্ন গলায় জানাল, সে বরং রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা করছে। আমি হতবাক! রাসেল জানাল, গ্যাসের লোক, পুলিশ, সিটি করপোরেশন আর নেতাদের টাকা দিতে দিতে সে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার লাভের টাকা চলে যাচ্ছে এদের পকেটেই।ব্যবসার এ অবস্থা হলে অন্য ‘হোটেল’গুলো চলছে কীভাবে? রাসেল জানাল, এভাবে চাঁদা আর ঘুষ দিতে হয় বলে অন্য হোটেলগুলো কম দামে মরা মুরগি, ভেজাল তেল, নিম্নমানের আটা-চাল ইত্যাদি ব্যবহার করছে। রাসেল এসব করবে না। সে সৎ ভাবে ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু অল্পদিনেই সে বুঝে গেছে, লালবাগে এ কাজ সম্ভব নয়।রাসেল কি সিরিয়াস? হ্যাঁ, সে সিরিয়াস। সে প্রশ্ন করে, ‘হয় আমাকে মরা মুরগি-ভেজাল তেল দিয়ে হোটেল চালাতে হবে অথবা বন্ধ করে দিতে হবে? আমি কোনটা করব, স্যার?’চার.আমি যখনই কোনো দেশে যাই, চোখ ঝলসানো উন্নতি, অসাধারণ নগর প্রশাসন বা সুখী কর্মব্যস্ত মানুষের ছবি দেখলে নিজের দেশের কথা খুব মনে পড়ে। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে সাদামাটা মানুষের নানা বঞ্চনার গল্প। এই মানুষগুলো বাধ্য হয় হেরোইন বিক্রি করতে, ভেজালের ব্যবসা করতে বা পুলিশ থেকে পালিয়ে বেড়াতে। বাধ্য হয় উদ্যম, সততা, কর্মস্পৃহাকে কলুষিত করতে।প্রতিদিন, প্রতি মাসে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটে আমাদের চারপাশে। আমাদের চোখ, হৃদয় আর মস্তিষ্ক অভ্যস্ত হয়ে গেছে এসব দেখে। যে দেশে গৃহকর্মীকে ঝলসানো হয় খুন্তির আগুনে, শিশুকে হত্যা করা হয় পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে, সাংবাদিক দম্পতিকে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয় তাদের শিশুসন্তানকে আটকে রেখে, যে দেশে মানুষের ঠাঁই হয় অন্য দেশের গণকবরে, যে দেশে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয় গানপাউডার বা পেট্রলবোমায়, যে দেশে পোড়া লাশের বীভৎস ছবি বিশাল পোস্টার করে সারা দেশের দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হয়, সেই দেশে কোনো ড্রাইভার, খুদে ব্যবসায়ী বা রিকশাচালকের ভোগান্তির গল্প খুবই অনুল্লেখ্য হয়তো!আমি কোরিয়া থেকে ফেরার পথে ভাবি কোরিয়ার উঠে দাঁড়ানোর গল্প লিখব। জাপানের উপনিবেশ, উত্তর কোরিয়া, চীন আর সোভিয়েত আক্রমণের ইতিহাস, দেশ বাঁচাতে বিলিয়ন ডলার খরচ করে মার্কিন সেনা পোষা—এত সব প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও মাথা উঁচু করে উঠে দাঁড়িয়েছে স্যামসাং আর এলজির দেশ। তারা অলিম্পিক আর বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করে, তাদের দেশের মানুষ হয় জাতিসংঘের মহাসচিব, তাদের অর্থনীতি তুলনীয় হয়ে ওঠে ইউরোপের সমৃদ্ধ দেশের সঙ্গে। এমন উত্থানের গল্প বলাতেও শান্তি অনেক!কিন্তু কোরিয়া থেকে ফিরে ঢাকা এয়ারপোর্টে ঢুকে ভালো গল্প বলার ইচ্ছা চলে যায়। এরাইভেলের এস্কেলেটর থেকে নামতেই ফ্লোরে রাখা কুৎসিত এক বিজ্ঞাপন-বোর্ড। ইমিগ্রেশনে বিদেশফেরত বাঙালি জাতির প্রতি সীমাহীন তাচ্ছিল্য নিয়ে বসে থাকা আমার দেশের পুলিশ!সবচেয়ে বড় ভোগান্তি কনভেয়ার বেল্টের সামনে। আমরা ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমেছি রাত সাড়ে ১১টায়। এমনিতেই অনেক রাত। তারপরও আধঘণ্টা যায়, এক ঘণ্টা যায়—লাগেজ আর আসে না। পেছনে-সামনে মানুষের সীমাহীন বিরক্তি! একসময় তা রূপ নেয় গালাগালিতে। আমার সামনে জাপান বা কোরিয়ার চেহারার এক বিদেশি। সে একসময় না থাকতে পেরে আমাকে প্রশ্ন করে, ‘ইজ দেয়ার অ্যানি প্রবলেম!’আমি তাকে বলতে পারি না, দেয়ার আর মেনি প্রবলেমস! বিশাল উড়ালসড়ক, মধ্যম আয়ের দেশের অহংকার, রাজপথে চোখ ঝলসানো গাড়ির ভিড়, নতুন নতুন গলফ-গার্ডেন, জীবিত ও মৃত নেতাদের নানা স্বপ্ন—কিছুই এসব সমস্যা দূর করতে পারেনি।এসব সমস্যা বলাও যেন অপরাধ এ দেশে। বললে চেতনাবিরোধী বা ছিদ্রান্বেষী গালি খেতে হবে। কঠিনভাবে বললে মামলা খেতে হবে, জেলে যেতে হবে বা আরও ভয়াবহ পরিণতি মেনে নিতে হবে।দেয়ার আর মেনি মেনি প্রবলেমস!আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
158,351
নিজস্ব প্রতিবেদক ও গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৩:৩৯
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৩:৫৩
গাজীপুর,অপরাধ,ঢাকা বিভাগ
null
এবার পোশাকশ্রমিকদের নেতা হতে চান নৌমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/49510
এবার পোশাকশ্রমিকদের নেতা হতে চান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবহনশ্রমিকদের নেতা হয়ে আছেন। এখন আগ্রহ দেখাচ্ছেন দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত পোশাক খাতের প্রতি।প্রায় ছয় মাস আগে তিনি গঠন করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ নামের একটি সংগঠন। আর প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজন করা সেই সংগঠনের প্রথম মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল গাজীপুর এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামলাতে শতাধিক কারখানা ছুটি দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এই মহাসমাবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৈরি পোশাকমালিকেরা। সমাবেশের আয়োজক সংগঠনটির আহ্বায়ক নৌপরিবহনমন্ত্রী। মন্ত্রীর কারণেই কোনো তৈরি পোশাকমালিক সরাসরি বক্তব্য দিতে চাননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মালিক বলেন, সড়ক পরিবহনশ্রমিকদের বড় নেতা শাজাহান খান। তিনি এখন পোশাকশ্রমিকদের নেতা হতে চাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে মজুরি বাড়ানোর মতো জনপ্রিয় বিষয় সামনে রেখে এই মহাসমাবেশের আয়োজন। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গতকাল পোশাক-শ্রমিকেরা এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। তাঁরা কারখানা, যানবাহন, আশপাশের ব্যাংক, শোরুমসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছেন। তাঁরা চন্দ্রা এলাকার একটি কারখানায় ভাঙচুরের সময় ওই কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে উপজেলার শতাধিক শিল্পকারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।ঢাকায় পোশাকশ্রমিক মহাসমাবেশে যোগ দিতে কারখানা ছুটি না দেওয়ার প্রতিবাদ এবং ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের একটি অংশ বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই মহাসমাবেশে যোগ দিতেই পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কারখানা বন্ধ রাখার দাবি জানান। কিন্তু মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানোয় সকাল সাড়ে আটটার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার পূর্বাণী গ্রুপ, চন্দ্রা এলাকার নায়াগ্রা টেক্সটাইল, ড্রেসম্যান, চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার আইমন টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেড, ইকুটেক্স লিমিটেডসহ বেশ কিছু পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নেমে আসেন।পরে শ্রমিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক, সফিপুর ও চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সফিপুর বাজারের হাজি ওসমান আলী মার্কেটের দ্বিতীয় তলার শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও সিঙ্গার প্লাসের শোরুমসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের কাচ ভাঙচুর করেন। পরে তাঁরা কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা থেকে মৌচাক তেলিচালা পর্যন্ত যেসব কারখানা ছুটি দেওয়া হয়নি, সেসব কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় অনেক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমাবেশে যাওয়ার ব্যাপারে সমিতির পক্ষ থেকে আমরা কাউকে হ্যাঁ-ও বলিনি, না-ও বলিনি। আর অধিকার আদায়ের জন্য সমাবেশে যাওয়া তো যে কারোরই গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা এতে বাধা দেওয়ার কে?’কোনো কোনো পোশাক কারখানার মালিক শ্রমিকদের সমাবেশে যেতে না দেওয়ার কারণেই ভাঙচুর-বিক্ষোভ হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যা হয়েছে, তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটা শ্রেণীই থাকে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে অচলাবস্থা তৈরি করতে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।’গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের মোশরেফা মিশু প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাজীপুর এলাকায় পোস্টারিং হচ্ছিল কারখানা বন্ধ রাখার। আর শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। শিপমেন্টের অজুহাতে যেখানে শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটিই বাতিল করা হয়, কারখানা বন্ধের কথা শুনে তাই তাঁরা একরকম খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু অনেক মালিক বাস্তবে কারখানা বন্ধ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়েছেন শ্রমিকেরা।’শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার কারণে সকাল সাড়ে আটটা থেকে এই মহাসড়ক ও নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে শত শত যান আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চন্দ্রা এলাকার নায়াগ্রা টেক্সটাইলের শ্রমিকেরা ওয়ালটন কারখানায় হামলা চালান। এ সময় ওয়ালটন কারখানার শ্রমিকেরা প্রতিরোধ করলে দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কালিয়াকৈর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের লাঠিপেটা, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন জানান, শ্রমিক অসন্তোষ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ভাঙচুর এড়াতে কারখানা কর্তৃপক্ষ গাজীপুর সদরের বোর্ডবাজার, কোনাবাড়ী, ভোগড়া, তোলিপাড়াসহ আশপাশের অর্ধশতাধিক কারখানা গতকাল ছুটি দিয়েছে।আমাদের টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, কালিয়াকৈর উপজেলায় শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে টঙ্গী শিল্প এলাকার কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।সাভার থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় সকালে যথাসময়ে কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। বেলা ১১টার পর তাঁরা মহাসমাবেশে যোগ দিতে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি দাবি করেন। শ্রমিকদের দাবির মুখে অধিকাংশ কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।তবে সাভার পৌর এলাকার জেকে গার্মেন্টস ছুটি দিতে অপারগতা জানালে শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে তাঁরা ভাঙচুর করেন। পরে কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করা হয়। একইভাবে সাভারের উলাইলের আল-মুসলিম গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়নি। বিকেল তিনটার দিকে তাঁরা কারখানায় ভাঙচুর করে বের হয়ে যান। তাঁরা কারখানাসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাঠের পুল এলাকায় রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা পলমল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এন কে কে নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকদের ছুটি না দেওয়ায় তাঁরা কারখানার ভেতরে দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও তিনটি কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কারখানা থেকে বেরিয়ে পোস্ট অফিস-হাজীগঞ্জ সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন।এদিকে ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা করার দাবিতে শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরে সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত মানববন্ধন করা হয়।
18,427
রাজধানী প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২২
০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:২৩
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
মিটফোর্ড নার্সিং ইনস্টিটিউটে তীব্র আবাসনসংকট
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1035947
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের আবাসনসংকট প্রবল। আগে প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ১০৫ জনে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে আবাসনসুবিধা বাড়ানো হয়নি। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য কোনো আবাসনের ব্যবস্থাই নেই।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নার্সিং ইনস্টিটিউটে আবাসনসংকটের মধ্যে ছাত্রীনিবাসের ১২টি কক্ষে বাস করছেন মিটফোর্ড হাসপাতালের স্টাফ নার্সরা। অথচ গাদাগাদি করে থাকছেন ছাত্রীরা। অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়ি বা মেসে থাকেন ছাত্ররা। এতে পড়াশোনার পর্যাপ্ত সুযোগ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। ইনস্টিটিউটের ছাত্রীনিবাস থেকে স্টাফ নার্সদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এবং ছাত্রদের জন্য আলাদা ছাত্রাবাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে গত ৩০ নভেম্বর ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বর্জন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তাঁরা। নার্সিং ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসাইন বলেন, আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বর্জন এবং ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।জানতে চাইলে মিটফোর্ড নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সামসুন নাহার গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ওই স্টাফ নার্সদের আবাসনের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সরানো জাবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। কবে নাগাদ বিকল্প ব্যবস্থা হবে, তা পরিচালক নিশ্চিত করে বলেননি।মিটফোর্ড নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, ১৯৪৩ সালে ওই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময় একটি পুরোনো ভবনে ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়৷ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বছর পাঁচেক আগে একটি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ দুটি ভবনের ১২টি কক্ষে স্টাফ নার্সরা বাস করছেন।মিটফোর্ড নার্সিং ইনস্টিটিউটের সভাপতি বিথী আক্তার বলেন, ওই দুটি ভবনের একেকটি কক্ষে ১০ জন করে থাকেন। এক বিছানায় দুজন। খাটগুলো লম্বায় প্রায় সাত ফুট হলেও চওড়ায় তিন ফুট। এ ছাড়া ছাত্রীনিবাসে টয়লেট ও গোসলখানার সংকট রয়েছে।মিটফোর্ড হাসপাতাল সূত্র জানায়, দেশে নার্স ও মিডওয়াইফের সংকট কাটাতে নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। বর্তমানে স্টাফ নার্সদের কক্ষ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। নার্সদের সরানো হলে হাসপাতালের সেবার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে।
272,483
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
১৯ মার্চ ২০১৪, ০২:০১
১৯ মার্চ ২০১৪, ০২:০৪
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
ওয়াটসনের জন্য
http://www.prothom-alo.com/sports/article/172084
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া দলের উন্মুক্ত আলাপচারিতা। তাতে এলেন শেন ওয়াটসন, অ্যারন ফিঞ্চ ও ক্যামেরন হোয়াইট। সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ওয়াটসনকে ঘিরেই। আড্ডার ঢঙে আলাপ বলেই কি না, খুব উপভোগ করছিলেন ওয়াটসনও। আইসিসির মিডিয়া ম্যানেজার তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তাই বলেই ফেললেন, ‘এত তাড়াতাড়ি? মাত্র তো কিছুক্ষণই কথা বললাম!’ মিডিয়া ম্যানেজারের তাড়ার কারণ ছিল—ওয়াটসনের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন বলে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষায় ক্যামেরন হোয়াইট। সেটির জন্য সাংবাদিকেরা দুঃখ প্রকাশ করায় হোয়াইটের স্মিতহাস্য জবাব, ‘কোনো সমস্যা নেই। আমি তো বুঝিই, “ফায়ার পাওয়ার” নিয়ে তো আপনাদের আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক।’
59,419
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৩:০৭
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৩:০৮
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
ঘুষের টাকাসহ দুদকের ফাঁদে ডিএসসিসির কর্মকর্তা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1083153
ফাঁদ পেতে ঘুষের টাকাসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একজন উপ-কর কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর সার্কুলার রোড (ভূতের গলি) থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই কর্মকর্তার নাম মো. তোফাজ্জল হোসেন জমাদ্দার।দুদক সূত্র জানিয়েছে, কলাবাগানের জনৈক মোস্তফা মোহাম্মদ আলীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে ডিএসসিসির ওই কর্মকর্তাকে ঘুষের ২০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া তাঁর দেহ তল্লাশি করে আরও ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কর কর্মকর্তা ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এর অংশ হিসেবে আগে ৩০ হাজার টাকা নেন। ২০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সময় নির্ধারিত ছিল। মোস্তফা মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিয়ে দুদকে অভিযোগ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়।আব্দুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, ডিএসসিসির ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনি বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি মামলা করেছেন।
294,388
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১০:৪০
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১০:৫২
বাংলা গান
0
কিশোরের সুরে লুইপার ‘ছায়াবাজি’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/634312
রিয়ালিটি শো ‘চ্যানেল আই-সেরাকণ্ঠ ২০১০’ প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশে ছিলেন লুইপা। তবে গানের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন অনেক দিন ধরেই। টেলিভিশন এবং বেতারের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্টেজ শোতেও তিনি বেশ নিয়মিত। এত দিন পর্যন্ত কোনো একক অ্যালবাম প্রকাশ করেননি এই গায়িকা। এবার ঈদে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে লুইপার প্রথম একক অ্যালবাম। নাম ‘ছায়াবাজি’।‘ছায়াবাজি’ অ্যালবামে গান রয়েছে সাতটি। সবগুলো গানের কথাই লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর ও সংগীতায়োজনে কিশোর। অ্যালবামের ‘যেখানেই আমি থাকি’ শিরোনামের একটি গানে লুইপার সঙ্গে কণ্ঠও দিয়েছেন কিশোর। বাকি গানগুলো লুইপার একক। গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ছায়াবাজি’, ‘বৃষ্টি’, ‘আমি ছাড়া তুমি’, ‘রঙে চিনেছি’, ‘ঘুরে ফিরে’ এবং ‘ভুলে থাকা কি যায়’। অ্যালবাম প্রসঙ্গে লুইপা বলেন, ‘যেকোনো শিল্পীর জন্যই তাঁর প্রথম অ্যালবাম অনেকটা স্বপ্নের মতো। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটা কাজ করছে। বেশ কিছুদিন ধরে, সময় নিয়েই অ্যালবামটির কাজ করেছি। অবশেষে ভালোভাবেই কাজটি শেষ করতে পেরে খুব আনন্দিত বলতে পারেন! আমার বিশ্বাস এই অ্যালবামটির মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে আমার অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।’লুইপা আরও বলেন, ‘আমার কণ্ঠে মূলত মেলোডি গানই বেশি ভালো মানায়। প্রথম অ্যালবামে সেই ব্যাপারটা প্রাধান্য দিয়েছি। বাকিটা সবাই শুনলেই বুঝতে পারবেন।’অ্যালবামটির সুর ও সংগীত প্রসঙ্গে কিশোর জানিয়েছেন, ‘অনেক যত্ন নিয়ে অ্যালবামটির কাজ করেছি। প্রতিটি গানেই বৈচিত্র্য রয়েছে। আমার বিশ্বাস; গানগুলো সবার ভালো লাগবে।’ ‘ছায়াবাজি’ অ্যালবামটি বাজারে আনছে সিডি চয়েস।
169,543
কম্পিউটার প্রতিবেদক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২৯ জুলাই ২০১৩, ০২:১২
২৯ জুলাই ২০১৩, ০২:১৪
খবরাখবর,বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
0
গ্লোবাল ব্র্যান্ডের পণ্যে বিশেষসুবিধা
http://www.prothom-alo.com/technology/article/31406
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্লোবাল ব্র্র্যান্ড (প্রা.) লিমিটেড আসুস, ডেল ও লেনোভো নোটবুকে দিচ্ছে বিশেষ সুবিধা। আসুসের নোটবুক পিসি ও নেটবুকের সঙ্গে উপহার হিসেবে থাকছে ফ্যাশন হাউস আড়ংয়ের ঈদ শপিং ভাউচার। ডেল নোটবুক ক্রয়ে ক্রেতারা পাচ্ছেন মডেলভেদে আড়ং ফ্যাশন হাউসের চার হাজার টাকার গিফট ভাউচার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ অফার চলবে। —বিজ্ঞপ্তি
5,987
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ মার্চ ২০১৯, ২৩:২১
২৫ মার্চ ২০১৯, ১২:১৮
অপরাধ,আইন ও বিচার,কারাগার,ঢাকা,সড়ক দুর্ঘটনা,অপমৃত্যু
null
নিহত ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধার হয়নি, চালকসহ দুজন রিমান্ড শেষে কারাগারে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1585116
রাজধানীর পল্টনে গাড়িচাপায় নিহত হওয়ার মামলায় কাভার্ড ভ্যানের চালক ও তাঁর সহকারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন। দুদিনের রিমান্ড শেষে আজ তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ওই দুই আসামি হলেন চালক আশরাফুল আলম ও তাঁর সহকারী রাকিব (১৮)।পুরানা পল্টনের গত বুধবার কেএফসি রেস্টুরেন্টের সামনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমাম আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যানের চাপায় যে ব্যক্তি নিহত হন, তাঁর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাঁর নাম আলামিন বলে জানতে পেরেছি। তাঁর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় উদ্ধারের জন্য হাতের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।’
394,937
অনলাইন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৩:২৭
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৫:৫৮
বলিউড
null
ইউটিউবে পিকে ছবির ১২৬ ভুল!
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/626755
এমনিতেও বলিউডের ছবিগুলোতে ‘গল্পের গরু গাছে চড়ে’। কিন্তু নির্মাতা রাজকুমার হিরানীর ‘পিকে’ ছবিটি বোধ হয় সবকিছুকেই ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি পিকে ছবির উদ্ভট কিছু ভুল নিয়ে ‘বলিউড সিনস’-এর বানানো একটি দশ মিনিটের ভিডিও উঠেছে ইউটিউবে। দশ মিনিটের এ ভিডিওটিতে ‘পিকে’ ছবির নানা অসংগতি আর ভুল সব মিলিয়ে ১২৬ টি! এক খবরে এ তথ্য দিয়েছে এনডিটিভি।ভুল বললে ভুল, অসংগতি বললে অসংগতি! ভাবা যায় কী কাণ্ডটাই না ঘটেছে। যেমন, ছবিতে জুন মাসের খরতাপের মধ্যে মরুভূমির পরিপ্রেক্ষিতে যে চোর ‘পিকে’ আমিরের রিমোট কন্ট্রোলারটি চুরি করে, ওই প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও তার গায়ে সোয়েটার ছিল কেন! ছবিতে চোর মহাশয়ের গায়ের সোয়েটারটি দেখেও অনেক দর্শকের গরম লাগার কথা!আবার, ইউটিউব চ্যানেল ‘বলিউড সিনস’ ওই ভিডিওটি দেখিয়েছে, ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসা ‘পিকে’ আমিরের সঙ্গে ব্যাটারি বস্তুটির পরিচয় যেন জন্মজন্মান্তরের। কোনো কৌতূহল ছাড়াই ভিনগ্রহবাসী পিকে মুহূর্তেই যেন চিনে ফেলে আরে! এটা তো ব্যাটারি। কিন্তু ভিনগ্রহবাসী পিকে’ আমাদের পৃথিবীর ব্যাটারি বস্তুটি চিনল কী করে! ব্যাটারি চেনাই শুধু নয়; পিকের ‘জাগ্গু’ আনুশকা শর্মা আর ‘সরফরাজ’ সুশান্ত সিং রাজপুতের সাক্ষাৎ হয় বেলজিয়ামের শহর ব্রুজ-এ। অথচ পাকিস্তান অ্যাম্বাসি; যেখানে ছবির ‘সরফরাজ’ সুশান্ত সিং রাজপুত কাজ করেন সেটির অবস্থান যখন ব্রাসেলসে!ভিডিওটিতে দেখানো এমন আরও অসংখ্য ভুলের ছড়াছড়ি পিকে ছবি জুড়েই। সব মিলিয়ে ১২৬টি ভুল এই দশ মিনিটের ভিডিওচিত্রটিতে দেখানো হয়েছে। কে জানে! হয়তো আরও ভুল ভিডিওটি যারা ইউটিউবে ছেড়েছেন ভুলে তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে।অবশ্য, ভুল যাই হোক না কেন ‘মুন্নাভাই’, ‘থ্রি ইডিয়টস’ এর সফল নির্মাতা রাজকুমার হিরানীর ২০১৪ সালে সারা বিশ্বে এক সঙ্গে মুক্তি পাওয়া ‘পিকে’ ছবিটি বক্স অফিসের শীর্ষে উঠেছিল। ভারতে এবং ভারতের বাইরে সবমিলিয়ে শীর্ষ আয়ের ভারতীয় ছবির রেকর্ড করেছিল ‘পিকে’। যদিও এ ছবির প্রচারের শুরু থেকেই নানা বিপত্তি ঘটে। আমিরের নগ্ন পোস্টার, ছবির কাহিনি নিয়ে বিতর্কসহ হাজারো সংকট উতরে শেষপর্যন্ত দুর্দান্ত ব্যবসাই করেছে আমির-আনুশকা-সঞ্জয় দত্ত-সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত নির্মাতা রাজকুমার হিরানীর ব্লকবাস্টার এই ছবি।ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন
167,172
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জানুয়ারি ২০১৬, ১৯:০৫
২৬ জানুয়ারি ২০১৬, ১৯:৫৬
অপরাধ
null
নকল ডিটারজেন্ট তৈরির দায়ে কারাদণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/751063
বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স না নিয়ে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে নগরের উত্তর হালিশহরে ‘মারিয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি কারখানার মালিককে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ওই কারখানা থেকে তিন টন নকল ডিটারজেন্ট পাউডার জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামিম আল ইয়ামীন উত্তর হালিশহরের আব্বাস পাড়ায় এ অভিযান চালান। এ সময় বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামিম আল ইয়ামীন জানান, কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে ‘পাওয়ার প্লাস লেমন পাউডার’ নামে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার ​তৈরি ও বাজারজাত করে আসছিল। অভিযানে বিপুল পরিমাণে নকল পাউডার জব্দ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মালিক খাজা মাইনুদ্দিনকে নকল পাউডার তৈরির অপরাধে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
195,583
নোয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০৭:৩৯
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০৮:০৩
নোয়াখালী,অপরাধ,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
নোয়াখালীতে যুবক হত্যা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/312745
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম আরিফ হোসেন। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, খুব সম্ভবত কোনো রাজনৈতিক কোন্দলের শিকার হয়ে খুন হয়েছেন আরিফ।
91,140
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ এপ্রিল ২০১৬, ০২:০৭
১৬ এপ্রিল ২০১৬, ০২:০৮
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
ট্রাফিক পুলিশের খাবার বিতরণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/830977
নগরবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে খাবার বিতরণ করেছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ট্রাফিক জোন। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রেনইবো হাতিরঝিল মোড়ে প্রায় সাত শ পথচারী, যাত্রী, গাড়ির চালক ও সহকারীর মাঝে এ খাবার বিতরণ করা হয়। প্যাকেটে মোড়ানো খাবারের মধ্যে ছিল বাতাসা, মুড়োলি, বিস্কুট, কদমা ও গজা। এ উদ্যোগ সম্পর্কে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আবু ইউছুফ বলেন, ‘পরিবর্তন ও উন্নয়নে আমরা জনগণের আরও কাছে পৌঁছাতে চাই। পুলিশ সম্পর্কে মানুষের বদ্ধমূল ধারণা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চেষ্টা করছি।’
220,606
কুষ্টিয়া অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৩৬
১৬ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৩৯
কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,রাজনীতি
null
সাংসদকে সোনার নৌকা দিলেন এনজিওর মালিক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/124069
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরীকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সোনার নৌকা উপহার দিয়েছেন একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মালিক। দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকুণ্ডী গ্রামের মীম সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক আইনুল ইসলাম এ উপহার দেন।গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।আল্লারদর্গা এলাকার আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সামছদ্দীন আহম্মেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দীন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সাদেকুজ্জামান খান, আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে দুপুরে ঢাকা থেকে ভেড়ামারা লালন শাহ সেতুতে পৌঁছালে সাংসদকে নেতা-কর্মীরা মোটর শোভাযাত্রায় সংবর্ধনাস্থলে নিয়ে যান। সংবর্ধনায় প্রথমে সাংসদকে ফুলের মালা ও তোড়া দেওয়া হয়। এরপর প্রায় এক ভরি ওজনের সোনার নৌকা উপহার দেন মীম সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক আইনুল ইসলাম।জানতে চাইলে আইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাবেক সাংসদের (আফাজ উদ্দীন) পক্ষে পাঁচ বছর কাজ করে তেমন কোনো উপকৃত হইনি। এবার রেজাউল হক চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেছি। তিনি জয়লাভ করেছেন। আফাজকে পরাজিত করার আনন্দে সাংসদকে সোনার নৌকা উপহার দিয়েছি। এর ওজন এক ভরির কম।’ রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, ‘অতীতে এ রকম উপহার দৌলতপুরের কোনো সাংসদ পায়নি। জনগণ আনন্দিত হয়ে উপহার দিয়েছে, আমি এতে গর্বিত, আনন্দে আত্মহারা।’
43,874
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ আগস্ট ২০১৪, ০০:২১
১৮ আগস্ট ২০১৪, ০০:২১
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
ভাঙন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/293740
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হালদা নদীর ভাঙন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করছেন এলাকাবাসী। উপজেলার পূর্ব ফরহাদাবাদ গ্রামের শাহ চৌমুহনী এলাকায় এ নির্মাণকাজ চলছে।ওই এলাকার সমাজসেবক আলী আজম ছাদেক বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে এখানে সরকারিভাবে কোনো বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় হালদার পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়? গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হালদা ফুলে ফেঁপে ওঠে। এ বাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙতে ভাঙতে এবার একেবারে পাড়ের কিনারে এসে ঠেকে।’গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ওই এলাকায় শতাধিক লোক বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতে কাজ করছেন। পাশেই নদীর স্রোত এসে বাঁধের প্রায় ৬০ ফুট এলাকায় ধাক্কা লাগছে। আর মাত্র দুই ফুট ভাঙলেই তলিয়ে যাবে উপজেলার দৌলতপুর, রোসাংগিরী, নিশ্চিন্তাপুরসহ গ্রামের পর গ্রাম।এলাকার রাজনৈতিক কর্মী মো. মইন উদ্দিন জানান, উজানে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতিবর্ষণে হালদায় পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার একাধিক বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। কয়েক দিন থেকে এই বাঁধের ৫০ থেকে ৬০ ফুটে ভাঙন ধরেছে। এখনই মেরামত করা না গেলে সামনে বড় বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভাঙনরোধে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ-গাছের পাইলিং ও বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছেন।স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে একজন কৃষক মো. এয়াকুব বলেন, ‘নদীর ভাঙনে বারবার বাড়ি-ঘর হুমকির মধ্যে রয়েছে। আবাদি জমি যা আছে তার সব নদীতে তলিয়ে যাবে। অন্তত কোনোমতে বাঁধটা ঠেকানোর ব্যবস্থা করছি।’ওই এলাকার মো. রুবেল, আনিস, আবদুল হালিম, হাসান, মুন্না, ওবায়েতসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা নিজেদের প্রয়োজনেই এই বাঁধ রক্ষার কাজ করছেন। অতীতে প্রশাসনসহ কেউ এখানে বাঁধ নির্মাণে কোনো কাজ করেনি?দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাধ্য হয়ে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে ও বাঁশ-গাছের পাইলিং করে বাঁধটি কোনোভাবে রক্ষার চেষ্টা করছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার অনেক অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় জরুরি ভিত্তিতে এসব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত এসব কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
85,995
উৎপল শুভ্র, কলকাতা থেকে
sports
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ | সময়সূচি, লাইভ স্কোর, পয়েন্ট টেবিল, কুইজ ও খেলার আপডেট নিউজ
২৭ মার্চ ২০১৬, ০২:৩২
২৭ মার্চ ২০১৬, ১৬:৫৬
খেলার শেষে (ক্রিকেট),উৎপল শুভ্র,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,টি ২০ বিশ্বকাপ ২০১৬
null
দুঃস্বপ্ন থেকে আরও বড় দুঃস্বপ্নে
http://www.prothom-alo.com/sports/article/811339
এটি ছিল দুঃস্বপ্ন ভোলার ম্যাচ। কে জানত, সেটি আরও বড় দুঃস্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষা করছে! চিন্নাস্বামীতে শেষ তিন বলের দুঃখে প্রলেপ দেওয়ার পরিবর্তে ইডেন আরও অমানিশায় ডুবিয়ে দেবে বাংলাদেশ দলকে!টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বৃহত্তর ছবিতে এই ম্যাচের সামান্যতম গুরুত্বও ছিল না। জিতুক-হারুক, নিউজিল্যান্ডের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল খেলা একরকম নিশ্চিতই ছিল। বাংলাদেশ দলের ম্যাচের পরদিন সকালেই ফিরতি ফ্লাইটে চড়াও।হ্যাঁ, পাওয়ার কিছু ছিল। শেষটা ভালো করে একটু খুশিমনে দেশে ফেরা। সেখানে কিনা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট!বাংলাদেশ করেছে ৭০, পরাজয়ের ব্যবধান ৭৫ রান। নিজেদের স্কোরের চেয়ে পরাজয়ের ব্যবধান বেশি—বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বোঝাতে আর কী লাগে! চিন্নাস্বামীর দুঃখ ছিল হাতের মুঠো থেকে জয় ফেলে দেওয়ার। এখানে দুঃখ-টুঃখ শব্দের কোনো স্থান নেই। হতবাক হয়ে গেলে অনুভূতি কাজ করে নাকি!ইডেনের একটা টাওয়ারের সব বাতি হঠাৎ নিভে যাওয়ায় খেলা বন্ধ থাকল ১১ মিনিট। খেলা আর না হলেও কিছু আসত-যেত না। বাংলাদেশের ইনিংসের ‘বাতি’ যে এর আগেই নিভে গেছে। ১১ ওভার শেষে স্কোর তখন ৬ উইকেটে ৪৫। আবার খেলা শুরু হওয়ার পর কৌতূহল যদি কিছু অবশিষ্ট থেকে থাকে, তা একটাই। ছয় বছর আগে হ্যামিল্টনে এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ৭৮ রানের স্কোরটা কি পেরোনো যাবে?সেটিও হলো না। চিরকাল উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে হাবুডুবু খাওয়া নিউজিল্যান্ড এই বিশ্বকাপে উপমহাদেশের দলগুলোকেই উল্টো ক্রিকেট-পাঠ দিচ্ছে। সেই ক্রিকেট-পাঠের নাম—ধীরগতির টার্নিং উইকেটে কীভাবে খেলতে হয়। নাগপুরে ভারতকে দিয়েছে। ভারতের ওই বিখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপ যেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে মাত্র ৭৯ রানে। কলকাতায় দিল বাংলাদেশকে।চারটি ভিন্ন মাঠে চারটি ম্যাচ। অথচ নিউজিল্যান্ড এমনভাবে খেলছে যেন, সব কটিই তাদের হোম ভেন্যু! এই উইকেট, এই ভ্যাপসা গরম সবকিছুর সঙ্গেই তাদের দীর্ঘ পরিচয়! শুধু স্কোর কাছাকাছি বলে নয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত আর বাংলাদেশের ম্যাচ দুটির মিল আছে। উইকেটের চরিত্র বুঝে খেলাটা না বদলে স্ট্রোক খেলার চিরন্তন পথে হাঁটাটাই সর্বনাশ করেছিল ভারতের। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সেই একই ভুল করলেন।কলিন মানরোকে দেখে শেখা উচিত ছিল। এমনিতে তাঁর ব্যাটিংয়ে মার মার-কাট কাট মেজাজ, অথচ কাল সেই মানরোই ৩৫ রান করতে ৩২ বল লাগিয়ে ফেললেন। সেটিও শেষ দিকে একটু চালিয়েছেন বলে, নইলে একসময় তো ১৯ বলে ১২। মানরো যখন ৮ রানে, সাকিবের এলবিডব্লুর আবেদনটা আম্পায়ার কেন নাকচ করে দিলেন, বারবার রিপ্লে দেখেও সেটির ব্যাখ্যা মিলল না। ম্যাচটা ক্লোজ হলে নিশ্চয়ই এটি নিয়ে অনেক শোরগোল হতো। কিন্তু ৭৫ রানে পরাজয়ের পর এসব নিয়ে কথা বলতেই তো কেমন লাগে!বাংলাদেশের ক্রিকেটে পালাবদলের শুরু হিসেবে কেউ যদি ২০১০ সালের নিউজিল্যান্ড সিরিজের কথা বলেন, সেটি ভুল হবে না। নিউজিল্যান্ড ৪-০ হোয়াইটওয়াশ। যেটি ‘বাংলাওয়াশ’ হয়ে ঢুকে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেট অভিধানে। তিন স্পিনার নামিয়ে দিত বাংলাদেশ আর কিউই ব্যাটসম্যানরা হাঁসফাঁস করে মরত। কাল হলো উল্টোটা। মিচেল স্যান্টনার, নাথান ম্যাককালাম ও ইস সোধির স্পিন-ত্রিফলায় ছিন্নভিন্ন বাংলাদেশ। এঁদের সঙ্গে আবার যোগ হলেন এলিয়ট। এমনিতে মিডিয়াম পেসার। কিন্তু কাল যে বোলিংটা করলেন, তা যেন পেস-স্পিনের এক যুগলবন্দী। তাতেই ১২ রানে ৩ উইকেট।উইকেটটা খুব ভালো পড়ছেন কেন উইলিয়ামসন। মাশরাফিও যদি তা ঠিক পড়ে থাকেন, তারপরও বোধ হয় তাঁর করার কিছু ছিল না। সাকিব ছাড়া এই দলে ভালো স্পিনার কই? সেই সাকিবও ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ফেললেন কাল। তুলনায় শুভাগত হোম বরং মিতব্যয়ী (৩ ওভারে ১৬)। পরে ব্যাটিংয়েও সর্বোচ্চ রান। সেটি মাত্র অপরাজিত ১৬—এটাই বলে দিচ্ছে, কী করুণই না দেখাচ্ছে বাংলাদেশের স্কোরকার্ড। যেটির শুরু তামিম ইকবালের রান আউট দিয়ে। আল আমিনের বোল্ড হওয়া দিয়ে যখন শেষ, ইনিংসের তখনো ২৬ বল বাকি।ব্যাটিং নিয়ে যত কম বলা যায়, ততই ভালো। ফিল্ডিংও ভালো-মন্দে মেশানো। শুভাগত ও মিঠুনের কল্যাণে দারুণ দুটি ক্যাচ যেমন দেখা গেছে, আবার আল আমিন ও তামিমের সৌজন্যে সহজ দুটি ক্যাচ ফেলাও। তবে বোলিংটা খুব খারাপ করেনি বাংলাদেশ। এভাবে গড়ে বলাটা মুস্তাফিজুরের প্রতি অন্যায় হয়। ম্যাচ শেষে হাথুরুসিংহে বললেন, নিউজিল্যান্ড ২০-২৫ রান বেশি করে ফেলেছে। মুস্তাফিজ আরও একবার নিজের অসাধারণত্ব প্রমাণ না করলে তো নিউজিল্যান্ড আরও বেশি করে! বিস্মরণযোগ্য এই ম্যাচে মনে রাখার মতো শুধু তাঁর বোলিংটাই। ২২ রানে ৫ উইকেটের শেষ দুটি পরপর দুই বলে। সেটি ইনিংসের শেষ ওভার। শেষ বলটি করার সময় তাঁর সামনে হ্যাটট্রিকের সুযোগ। সেটিতে অবশ্য ম্যাকলেনাহান উল্টো ছক্কা মেরে দিয়েছেন।এটি ছিল দুঃস্বপ্ন ভোলার ম্যাচ। তা সেটি তো কিছুটা হলোই। ৭০ রানে অলআউটে শেষ তিন বলের ওই দুঃস্বপ্ন তো কিছুটা হলেও আড়াল!নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪৫/৮বাংলাদেশ: ১৫.৪ ওভারে ৭০ফল: নিউজিল্যান্ড ৭৫ রানে জয়ী
214,475
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ১০:০৭
২২ নভেম্বর ২০১৫, ১১:১০
-1
0
সাকা চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/690982
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রামে রাউজানের গহিরায় পৈতৃক বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে বাড়ির মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান হেফাজতে ইসলামের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। এতে সাকা চৌধুরীর পরিবারের সদস্য ছাড়াও এলাকার লোকজন অংশ নেন।কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আজ সকাল নয়টার দিকে সাকা চৌধুরীর মরদেহ তাঁর পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছায়।চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাকা চৌধুরীর জানাজা ও দাফনকে কেন্দ্র করে রাউজানে বাড়তি নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়।গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। একই সময়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী আরেক অপরাধী জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদেরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।সাকা চৌধুরী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। আর মুজাহিদ ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। সাকা চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। মুজাহিদের বাড়ি ফরিদপুরে।এর আগে একই অপরাধে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের।আরও পড়ুন:সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরসাকা চৌধুরীর জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্নসাকা চৌধুরীর মরদেহ রাউজানেমুজাহিদের দাফন সম্পন্ন
176,513
সাদ্দাম হোসাইন
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ মে ২০১৬, ০২:৩৫
২৫ মে ২০১৬, ০২:৩৫
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ
0
উত্তরখানে মাদক বেশি দক্ষিণখানে নারী নির্যাতন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/868093
রাজধানীর অন্য থানাগুলোর মতো উত্তরখান থানায়ও আছে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক দুটি হাজতজখানা। কিন্তু গত শনিবার সকালে দুটি হাজতখানাই ছিল ফাঁকা, একজন আসামিও নেই। থানার পুলিশ জানিয়েছে, অন্য এলাকার তুলনায় এই এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মামলা কম হয়। সে কারণে প্রায়ই ফাঁকা থাকে হাজতখানা। আর মাঝেমধ্যে যাঁদের আটক করা হয়, তাঁদের অধিকাংশই মাদক ব্যবসায়ী।প্রায় একই অবস্থা পাশের দক্ষিণখান থানারও। উভয় থানাতেই মাদক-বাণিজ্য ছাড়া অন্যান্য অপরাধের হার কম। তবে দক্ষিণখানে প্রায়ই নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।দুই এলাকার বাসিন্দাদের কয়েকজন বলেন, উত্তরখান ও দক্ষিণখানে এখনো গ্রামীণ আবহ রয়েছে। বসবাসকারী ব্যক্তিদের অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্মজীবী এসব মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা কম। তাই এখানে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধ অন্য এলাকার তুলনায় কম। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই এলাকার মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদক ব্যবসা। প্রশাসনের তৎপরতার কারণে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি কম হলেও ধীরে ধীরে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।উত্তরখান ইউনিয়ন পরিষদের (সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই ইউনিয়ন) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। তবে মাদক ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করছে। আমরা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’উত্তরখান থানার মামলার নথি বিশ্লেষণে মাহমুদুল হাসানের বক্তব্যের যথার্থতা পাওয়া গেছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত এই থানায় মোট মামলা হয়েছে ১০টি। এর মধ্যে আটটি মামলাই হয়েছে মাদক বিক্রির অভিযোগে। এই আট মামলার বাদী পুলিশ। এই মামলাগুলোর আসামিরা হলেন কাঁচকুড়া এলাকার মোশারফ হোসেন (২৮), হামিদা বেগম (৫২), মোছা. ফরিদা (৪০), বড়বাগের মুসলিম খাঁ ভাণ্ডারী (৬২), সাব্বির হোসেন (২৫‍), আলিম হোসেন (২০), শরীফপুরের মো. ইমন (১৯), জামালপুর সরিষাবাড়ীর আবদুস সাত্তার (৩৬) ও মাদারবাড়ীর এস এম আমজাদ হোসেন ওরফে চাক্কু সোহেল (৩৩)। এঁদের কাছ থেকে পুলিশ চোলাই মদ, গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে।উত্তরখান থানার পরিদর্শক (অভিযান) আলমগীর হোসেন বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের অধিকাংশকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোটখাটো মাদক ব্যবসায়ী যাঁরা আছেন, তাঁদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মাদকের বড় চালানসহ কেউ ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, আর ছোট চালানসহ ধরা পড়লে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দ্রুত তাঁদের সাজা দেওয়া হয়।মাদক ব্যবসা সম্পর্কে দক্ষিণখান থানায় একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এই থানায় উত্তরখানের তুলনায় নারী নির্যাতনের হার বেশি। এই থানাতেও চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে ১০টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ও তিনটি মামলা নারী নির্যাতনের অভিযোগে হয়েছে। মাদকসংক্রান্ত মামলা তিনটির আসামিরা হলেন ভোলা জেলার শরীফ হোসেন (২০), নরসিংদীর সুমন মিয়া (২৮) ও নোয়াখালীর সীমা আক্তার (৩৫)।এই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ রোকোনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গাড়িসংকট ও সড়কের বেহাল অবস্থার পরও এই এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিদিন নয়টি ভ্রাম্যমাণ দল কাজ করে। তাই এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ হয় না। তিনি বলেন, থানায় যেসব অভিযোগ আসে, তার অধিকাংশই নারী নির্যাতন ও জমিজমা-সংক্রান্ত।নারী নির্যাতনের অভিযোগ বেশি আসার কারণ সম্পর্কে রোকোনুজ্জামান বলেন, ‘এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই নিম্ন আয়ের। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে। মাদক সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মাদক ব্যবসা একেবারে বন্ধ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’ উত্তরখান, দক্ষিণখান ছাড়াও উত্তরা, তুরাগ ও টঙ্গী ব্রিজ এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধে এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা তৈরি করেছে একটি সংস্থা। তালিকায় উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের টিপু সুলতান (২৪‍), ১৩ নম্বর সেক্টরের হায়দার (৩০), সাভার নবীনগরের ফারুক (৩০), দক্ষিণখান গাওয়াইর মধ্যপাড়ার রিন্টু খান (২৮) ও আবদুল্লাহপুর স্লুইসগেট-সংলগ্ন বস্তির লিপি বেগমের (২৫) নাম রয়েছে। এঁদের মধ্যে ফারুক সাভারে থাকলেও আবদুল্লাহপুর ও তুরাগ এলাকায় ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাইকারি দরে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সংস্থাটির মতে, এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলেই উত্তরা এবং এর আশপাশের এলাকায় মাদক-বাণিজ্য কমে আসবে।
225,900
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০৩
২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:০২
ক্রিকেট,ভারত,টেস্ট ক্রিকেট,ইংল্যান্ড
null
দ্বিতীয় দিনেই অন্য ভারত
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1556778
ওভাল টেস্টের প্রথম দিনটা হাসিমুখে শেষ করেছিল ভারত। ৭ উইকেটে ১৯৮ রান নিয়ে প্রথম দিন শুরু করা ইংল্যান্ড যে পরের দিন তাঁদের মুখের হাসিটা এভাবে কেড়ে নেবে, কোহলিরা কাল কি তা ভাবতে পেরেছিলেন! ১৫৮ রানের লিড, দ্বিতীয় দিন শেষে ওভাল টেস্টে চওড়া হাসি ইংলিশদের মুখেই তো থাকবে। রবীন্দ্র জাদেজার বলে রাহানে স্লিপে ক্যাচ নিলেন। আম্পায়ার আউটের আঙুলও তুললেন। কিন্তু বোলার জাদেজা বা ভারতের বাকি খেলোয়াড়দের তেমন উচ্ছ্বাস কই! জস বাটলারের আউটে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়েছে বটে, কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। ৩৩২ রান তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড।ওভালে সিরিজের শেষ টেস্টটি ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুকের বিদায়ী ম্যাচ। সেটিকে স্মরণীয় করে রাখতে লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে অসাধারণ এক ইনিংস খেললেন এই সিরিজে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান বাটলার। ব্যাট করতে নেমেছেন ৭ নম্বরে, পরশু ইংল্যান্ডের রান তখন ৫ উইকেটে ১৭১। বাটলার উইকেটে আসার পর দ্রুতই ফিরে যান মঈন আলী ও স্যাম কারেন। বাটলারের সঙ্গী হিসেবে এরপর স্বীকৃত আর কোনো ব্যাটসম্যান ছিলেন না। তবে লেজের তিন ব্যাটসম্যান আদিল রশিদ, স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ইংল্যান্ডকে নিয়ে গেছেন ভালো একটা অবস্থানে। প্রথম ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড যেখানে ১৮১ রান করেছে, শেষ ৩ উইকেটে ১৫১। এর মধ্যে ৮৬ রান বাটলার একাই করেছেন।ইংলিশ ব্যাটসম্যানের একটাই আক্ষেপ থাকতে পারে, ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না। বাটলারকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন রশিদ ও ব্রড। রশিদ ১৫ আর ব্রড ৩৮ রান করে আউট হয়েছেন। অষ্টম উইকেটে রশিদের সঙ্গে ৩৩ রানের পর ব্রডের সঙ্গে নবম উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়েছেন বাটলার। তিন টেলএন্ডারের মধ্যে অ্যান্ডারসন কোনো রান করেননি। তাঁর সঙ্গে দশম উইকেটে যোগ হওয়া ২০টি রানই বাটলারের। কুকের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটি আলোকিত বাটলারের আলোয়।প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ভালো স্কোরের জবাব ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দিতে পারেননি। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন শিখর ধাওয়ান। তা-ও ভালো রিভিউ নিতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নেননি ভারতীয় ব্যাটসম্যান। রিপ্লে দেখিয়েছে পরিষ্কার এলবিডব্লু ছিলেন ধাওয়ান। বিরাট কোহলি ছাড়া টপ অর্ডারের আর কেউ লড়াই করতে পারেননি। স্টোকসের শিকার হয়ে কোহলি ফিরেছেন ফিফটি থেকে মাত্র এক রান দূরে থেকে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে টিভি ক্যামেরা ঘুরে এল ভারতীয় ড্রেসিংরুমের বারান্দায়। বারান্দায় বসা কোহলির মুখটা বিষণ্ন দেখাল। ৬ উইকেটে ১৭৪, দলের এই স্কোরে মুখটা বিষণ্ন থাকে না কোন অধিনায়কের?
376,209
রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০৮
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০৯
রামগতি,লক্ষ্মীপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
অভিযুক্তসহ ইউপিসদস্য আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/332914
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরজগবন্ধু এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাজু হাওলাদার (৫৪) নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গত শনিবার রাতে আটক করেছে। ওই সময় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মাকছুদ আলমকেও আটক করা হয়।জানা যায়, সাজু হাওলাদার উপজেলার মাতব্বরহাট বাজারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং মাকছুদ আলম সাহেবেরহাট ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির জানান, অভিযুক্ত সাজু হাওলাদার পাঁচ মাস আগে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে (১৫) ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। শনিবার বিকেলে মাকছুদ আলম এলাকায় সালিস করে ধর্ষণের বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক ব্যক্তিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
97,445
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ মার্চ ২০১৭, ০১:৩৭
২০ মার্চ ২০১৭, ০১:৩৮
বিশাল বাংলা
0
মা–বাবাকে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1113703
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নে সালিস বৈঠকের নামে মা-বাবাকে বাড়িতে আটকে রেখে এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাল্যবিবাহের শিকার মেয়ের বাবা ৭ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় এক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের এক তরুণ (১৮) অপহরণ করেন। এরপর এক বাড়িতে তাকে আটকে রাখা হয়। পরে স্থানীয় ছাতিয়ান ইউপির সদস্য মো. একলাস উদ্দীনের নেতৃত্বে কিছু যুবক মেয়েটিকে উদ্ধার করে সালিস বৈঠক বসান। ওই বৈঠকে প্রথমে ইউপি সদস্য একলাস উদ্দীন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে তার মা-বাবার হেফাজতে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি (ইউপি সদস্য) তাঁর সিদ্ধান্ত পরির্বতন করেন। পরে তিনি ওই ছাত্রীর মা-বাবাকে বাড়িতে আটকে রেখে স্থানীয় এক মাদ্রাসার মাওলানাকে ডেকে ওই তরুণের সঙ্গে তার বিয়ে দেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই মাওলানা গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বেকায়দায় পড়ে এই বিয়ে পড়াতে বাধ্য হয়েছি।’এ বিষয়ে ইউপি সদস্য একলাস উদ্দীনের সঙ্গে কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।ছাত্রীর বাবা গত শনিবার বলেন, এ ঘটনার পর থেকে ওই তরুণ তাঁর লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে এ বিয়ে মেনে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছেন। এমনকি তাঁর পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে ইউএনও রেজাউল করিমের কাছে ৭ মার্চ একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে রেজাউল করিম গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
304,626
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
১৬ জুলাই ২০১৩, ০২:০৮
১৬ জুলাই ২০১৩, ০২:০৯
অ্যাথলেটিকস,খেলা
0
শাস্তি তাৎক্ষণিক
http://www.prothom-alo.com/sports/article/24804
সাফল্যে সঙ্গী। ব্যর্থতায়? উত্তরটা ভালোমতোই জেনে গেলেন টাইসন গে। ডোপ পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার সংবাদ চাউর হওয়ার পরদিনই যে বড় এক স্পনসর হারালেন এই মার্কিন স্প্রিন্টার। কাল বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস জানিয়ে দিয়েছে গের সঙ্গে সম্পাদিত তাদের সব চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। অ্যাথলেটদের সঙ্গে অ্যাডিডাসের চুক্তিপত্রে শর্তই থাকে কোনো খেলোয়াড় ডোপ বা এ রকম কোনো কিছুর জন্য দোষী প্রমাণিত হলে চুক্তি বাতিল বা স্থগিত করতে পারবে। সেই শর্ত মেনেই ২০০৫ সাল থেকে গের সঙ্গে থাকা অ্যাডিডাস আপাতত সরে দাঁড়াল। রয়টার্স।
2,817
-1
sports
খেলা
২৭ জুলাই ২০১৪, ০১:০৭
২৭ জুলাই ২০১৪, ০১:১৬
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
বেশি বেতন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/278413
সাউদাম্পটন থেকে গত মাসে তাঁকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিয়ে আসতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খরচ হয়েছে ৩৭.৫ মিলিয়ন ইউরো। ১৯ বছর বয়সী লুক শ-ই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি টিনএজ ফুটবলার। শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডের সঙ্গে না পারলেও শুরুতে কিন্তু ইংলিশ এই লেফটব্যাককে পাওয়ার লড়াইয়ে ছিল চেলসিও। কেনার ভীষণ ইচ্ছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনেকটা বাধ্য হয়েই নাকি পিছু হটেছেন চেলসি কোচ হোসে মরিনহো। কেন জানেন তো? ইউনাইটেড লুক শ-কে বেতন প্রস্তাব করেছিল সপ্তাহে ২ লাখ ইউরো। এত অল্পবয়সী একজন ফুটবলারকে এত বেশি বেতন দিতে রাজি নন মরিনহো, ‘ওকে যদি ক্লাব এত টাকা দেয় আমার বাকি খেলোয়াড়েরা কী ভাববে? আর এই ছেলের বেতন দিতে গিয়েই তো ক্লাব মরে যাবে!’ বিশাল বেতনটা যে অকারণ নয়, সেটা কি প্রমাণ করতে পারবেন ইংলিশ ডিফেন্ডার? গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল।
81,157
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৯:৫৪
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১০:৫১
এশিয়া
null
অতিভোজীর পেটে অগ্নি-বিস্ফোরণ
http://www.prothom-alo.com/international/article/143940
পানাহার তিনি করেছিলেন বটে, তবে তা মাত্রা ছাড়া। ক্রমেই গ্যাস জমে ফুলে উঠছিল পেট। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আর চিকিত্সকেরাও অস্ত্রোপচারের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু অগ্নিঝরা এক বিস্ফোরণ দিল সব ভণ্ডুল করে। সম্প্রতি চীনের একটি হাসপাতালে ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর বেলায় এ ঘটনা ঘটে।চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা চীনা নিউজ সার্ভিসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আজ সোমবার পিটিআইয়ের খবরে জানানো হয়, জিয়াংসু প্রদেশে এই ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটে। তবে বিস্ফোরণ-পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে খবরে সুস্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।প্রৌঢ় ওই চীনা নারী শুধু অতিভোজই করেননি, মদও পান করেছিলেন মাত্রাতিরিক্ত। এতে তাঁর পেট ফুলে ওঠে। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর পাকস্থলীতে থাকা গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। চিকিত্সকেরা জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারীর পুরো পাকস্থলীই অপসারণ করা হয়েছে। রোগীর পাকস্থলীতে থাকা ইথাইল অ্যালকোহল অস্ত্রোপচারের বৈদ্যুতিক ছুরির সংস্পর্শে আসার পর এ বিস্ফোরণ ঘটে।
50,214
অমর সাহা, কলকাতা
international
আন্তর্জাতিক
২৫ এপ্রিল ২০১৬, ১২:০২
২৫ এপ্রিল ২০১৬, ১২:০৩
ভারত
0
পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফা ভোট চলছে
http://www.prothom-alo.com/international/article/840277
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়া জেলার ৪৯টি আসনের ভোট আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের শুরুতে সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিরোধী দলের এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া, ভোটারদের ভয় দেখানো ও জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ার ৪৯টি আসন তৃণমূলের ঘর হিসেবে চিহ্নিত। এসব আসনের মধ্যে তৃণমূলের একারই রয়েছে ৪৩টি আসন। বিরোধীদের ছয়টি আসন রয়েছে। তৃণমূল নিজেদের আসন দখলে রেখে বাকি আসন ছিনিয়ে নিতে চাইছে। বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি চাইছে তৃণমূলের আসনে ভাগ বসাতে। তাই এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। পাশাপাশি এই ৪৯টি আসনকে নিজেদের দখলে রাখতে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। গত নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গী ছিল কংগ্রেস। আর এবার সেই কংগ্রেস বামফ্রন্টের সঙ্গী হয়েছে।নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকারি দলের সমর্থকদের বুথ দখল, জাল ভোট, বুথে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার খবর আসছে। হালিশহর, বীজপুর, দমদম, নিউটাউন, বেলুড় কেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ব্যারাকপুর, নিউটাউনে বাম এজেন্টদের মারধর, বীজপুরে বাম এজেন্টের বাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর, দমদমে বাম এজেন্টের বাড়িতে হামলা, মধ্যমগ্রামে এক বাম সমর্থকের মাথা ফাটানো, উত্তর হাওড়ায় জাল ভোট, সরকারি সমর্থকদের বুথ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজারহাটে তিনজন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ মন্ত্রীর ও বিরোধী জোটের সাবেক দুই মন্ত্রীর ভাগ্যপরীক্ষা হবে। ক্ষমতাসীন দলের যাঁদের ভাগ্যপরীক্ষা হবে, তাঁরা হলেন উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ কেন্দ্রের মন্ত্রী অমিত মিত্র, হাবড়া কেন্দ্রের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাগদা কেন্দ্রের উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, উত্তর দমদমে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দমদমে ব্রাত্য বসু, কামারহাটিতে মদন মিত্র, রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রে পূর্ণেন্দু বসু, হাওড়ার উলবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে হায়দার আজিজ শফি, ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মধ্য হাওড়া কেন্দ্রে অরূপ রায়।আজ ভাগ্যপরীক্ষা হবে বালি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালী ডালমিয়া, হাওড়া উত্তর কেন্দ্রে প্রখ্যাত ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুকলা, উলবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে নির্মল মাজি, বারাসাত কেন্দ্রে প্রখ্যাত চিত্রতারকা চিরঞ্জিৎ, হাওড়া কেন্দ্রে হাজি শেখ নুরুল ইসলাম প্রমুখের।অন্যদিকে, বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ভাগ্যপরীক্ষা হবে, তাঁরা হলেন খড়দহ কেন্দ্রের সাবেক মন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত, আমডাঙ্গা কেন্দ্রের সাবেক মন্ত্রী আবদুস সাত্তার, গাইঘাটা কেন্দ্রের কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, বালি কেন্দ্রের অঞ্জন বেরা, নৈহাটি কেন্দ্রের গার্গী চট্টোপাধ্যায়, জগদ্দল কেন্দ্রের হরিপদ বিশ্বাস, রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রের নেপালদেব ভট্টাচার্য।ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য ও হাওড়া উত্তর কেন্দ্রের চিত্রতারকা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।দুই জেলার ৪৯টি আসনের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৩ এবং হাওড়ায় ১৬টি আসন রয়েছে। ভোট গ্রহণ হচ্ছে ১২ হাজার ৪৮১টি বুথে। এবার ১ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ভোটার ভোট দেবেন ৩৪৫ জন প্রার্থীকে। নির্বাচন কমিশন উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ২ হাজার ৩২৩টি এবং হাওড়া জেলায় ৬৪৩টি কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই দুটি জেলায় নিয়োগ করা হয়েছে ৫১ হাজার ৭২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ২৩ হাজার পুলিশ।পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত নির্বাচন অধিকর্তা দিব্যেন্দু সরকার জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ওয়েবকাস্টিং, সিসিটিভি ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা, মাইক্রো অবজারভার, ক্যামেরা লাগানো নজরদারি গাড়ি—সবকিছুই থাকছে।
223,352
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ জুন ২০১৬, ০১:৫৮
২০ জুন ২০১৬, ০১:৫৮
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),সরকার
0
ঈদের ১০ দিন আগে মহাসড়কে নির্মাণকাজ বন্ধ: কাদের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/893548
এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে মহাসড়কে চলমান নির্মাণকাজ ঈদের ১০ দিন আগে থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। গতকাল রোববার ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে যানজটপ্রবণ স্থান ব্যবস্থাপনাবিষয়ক এক সমন্বয় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, যানজটপ্রবণ ১৬টি স্থানে বাংলাদেশ রোভার স্কাউটসের এক হাজার সদস্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে। ঈদের আগে প্রতিদিন তিনটি পালায় পাঁচ দিন এসব স্বেচ্ছাসেবক পুলিশকে পরিবহন ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে। তিন সেতু নির্মাণে চুক্তি সই: পটুয়াখালী, বাগেরহাট ও খুলনা জেলায় চীন সরকারের অর্থায়নে তিনটি সেতু নির্মাণে প্রাথমিক চুক্তি সই হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, চীনের অর্থায়নে দেশে সাতটি মৈত্রী সেতু নির্মাণ হয়েছে। অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু বা বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে নকশা প্রণয়ন চুক্তি হয়েছে সম্প্রতি। এখন চীনের অর্থায়নে পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীর ওপর বগা সেতু বা নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, বাগেরহাটের মোংলা নদীর ওপর মোংলা সেতু বা দশম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু এবং খুলনায় ঝপঝপিয়া নদীর ওপর ১১তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, চলতি বছরই এই তিনটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। শেষ হবে ২০২০ সালে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর (বাণিজ্য) লি গুয়াংজুন, তিন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক পরিমল বিকাশ সূত্রধর প্রমুখ।
233,962
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ মার্চ ২০১৭, ০৪:০০
১৬ মার্চ ২০১৭, ০৪:০০
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
চ্যালেঞ্জ নিয়েই সফল হচ্ছেন নারীরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1109803
কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের যোগ্যতার বিতর্ক বন্ধ করার সময় এসেছে। চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে নারীরা সফল হচ্ছেন। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পরিবার থেকে এখনো বাধা দেওয়া হয়। পাশাপাশি নারীকে ঘরে ও বাইরের—দ্বৈত কাজ সামলাতে হয়।আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার ‘সেলিব্রেটিং উইমেন অ্যাট ওয়ার্ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের বেসিস উইমেন্স ফোরাম এবং ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক তাঁর জীবনে মায়ের এবং স্ত্রীর অবদানের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘নারীরা ঘর এবং বাইরের উভয় কাজই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলান। তাঁরা মানসিকভাবেও অনেক এগিয়ে। কিন্তু পুরুষেরা এখনো একটি জায়গায় আটকে আছি, যার পরিবর্তন করতে হবে।’তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যেকোনো ধরনের প্রশিক্ষণে নারীর জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ আছে। উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিতে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে নারীর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।পৃথিবীর আর কোনো দেশে নারী দিবস উপলক্ষে এমন বর্ণিল আয়োজন দেখেননি উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন,এ দেশের নারীরা কৃষি, পোশাকশিল্পসহ সব ক্ষেত্রে ভালো করছেন, যা নারীর ক্ষমতায়নকে আরও পোক্ত করবে।অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বেসিস উইমেন্স ফোরামের আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান, বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহাসহ অনেকে বক্তৃতা করেন।এই আয়োজনে ২৬ জন নারীকে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ স্মারক প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীরা হলেন শিক্ষাবিদ হামিদা আলী, মনোবিজ্ঞানী মেহতাব খানম, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পারভীন মাহমুদ, পাইলট আলিয়া মান্নান, রাষ্ট্রদূত মুনা তাসনিম, অর্থনীতিবিদ ফাহমিদা খাতুন, সরকারি কর্মকর্তা সুরাইয়া বেগম, সাংবাদিক সুমনা শারমীন, পেশাজীবী রূপালী চৌধুরী, বিটপী দাশ চৌধুরী, ফ্যাশন ডিজাইনার নিনিয়া আহমেদ মুসা, পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদা আফরোজ লাকি, রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভিন, চিকিৎসক তাহেরা নাজরিন, মানবসম্পদ প্রশিক্ষক পারভিন এস হুদা, আইনজীবী সারা হোসেন, সমাজসেবক সাবিনা হোসেইন, চিকিৎসক সুরাইয়া পারভিন, অভিনেত্রী শমী কায়সার, আলোকচিত্রী শাহরিয়া শারমিন, উদ্যোক্তা স্বপ্না ভৌমিক, সেবিকা জাহানারা আকতার, রিকশাচালক জেসমিন আকতার, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সৈয়দা খাদিজা দিনা, চিত্রশিল্পী নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা এবং উপস্থাপক ফারহানা নিশো।অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন এলিটা করিম।
303,179
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৭
১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৫
বলিউড
null
কে দিয়েছে এই শাড়ি?
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1574701
নারীরা শাড়ি ভালোবাসেন। তবে বলিউড তারকা কঙ্গনা রনৌতের শাড়ির প্রতি আছে ব্যতিক্রম এক দুর্বলতা। শাড়ি পরতে ভীষণ ভালোবাসেন তিনি। এমনকি শাড়ি পরে বিমানভ্রমণকে তিনি এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেছে একটি কালচে কাঞ্জিভরম শাড়িতে। সেই শাড়ি আর সাজে ভারতের মুম্বাইয়ের এক অনুষ্ঠানে যেন জৌলুশ ছড়াচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কে তাঁকে দিয়েছে ওই শাড়ি?গতকাল সোমবার মুম্বাইয়ের ওই সম্মাননা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক কঙ্গনা রনৌত। সঙ্গে কিংবদন্তি অভিনেত্রী রেখা। রেখার পরনে ছিল সোনালি রঙের কাঞ্জিবরম শাড়ি। দুজনের খোঁপায় ছিল ফুলের গাজরা। ওই অনুষ্ঠানে কঙ্গনার হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেছেন রেখা। জানা গেছে, কঙ্গনার পরনের ওই শাড়িটি তাঁকে রেখাই উপহার দিয়েছেন। শাড়ি পেয়ে কঙ্গনার আনন্দের সীমা নেই।অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে কঙ্গনার সম্পর্ক অন্য রকম। ঠিক যেন মা-মেয়ের মতো। বলিউডে পা রাখার পর থেকেই রেখার স্নেহ পেয়ে আসছেন তিনি। কাল একই অনুষ্ঠানে সেজেগুজে এসে একে অন্যের হাত থেকে সম্মাননা নিয়েছেন তাঁরা। শুধু তা–ই নয়, মারাঠি একটি গানের সঙ্গে মঞ্চে আলতো নেচেছেন দুজন। অনুষ্ঠানে মেয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন রেখা। কঙ্গনাকে খুব আদর করেন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমার যদি মেয়ে থাকত, সে কঙ্গনার মতোই হতো।’ এমনকি কঙ্গনাকে তিনি সত্যিকারের রানি লক্ষ্মীবাই মনে করেন।রানি লক্ষ্মীবাইয়ের চরিত্রে কঙ্গনাকে দেখা যাবে এ বছর। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে কঙ্গনা রনৌত পরিচালিত ছবি ‘মনিকর্নিকা’। তথ্যসূত্র: পিংক ভিলা
387,015
-1
sports
খেলা
১৭ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৩৭
১৭ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৩৮
আন্তর্জাতিক ফুটবল,খেলা
0
পগবার অপমান!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/345802
প্রচণ্ড রাগ অনেকবারই হয়েছে, মেজাজ হারিয়ে হয়তো খিস্তিখেউড়ও করেছেন। কিন্তু এমনভাবে সবার সামনে অপমানিত কি কখনো হয়েছেন? আর্মেনিয়ার সঙ্গে ম্যাচে সেই অভিজ্ঞতা হয়ে গেল ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবার। তাও ‘অপমানিত’ হলেন আবার খুদে এক ভক্তের কাছে! ইউরো বাছাইপর্বের ওই ম্যাচের জয়টা উদ্যাপন করছিলেন পগবারা। এমন সময় কীভাবে যেন মাঠে ঢুকে পড়ে ছেলেটি। সটান চলে যায় পগবার দিকে, চেয়ে বসে প্রিয় তারকার জার্সি। কিন্তু পগবা সম্ভবত কোনো আর্মেনিয়ান খেলোয়াড়ের সঙ্গে ওটা বিনিময়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছিলেন। ভক্তকে তাই শার্ট না দিয়ে শর্টসটা খুলে দিতে চাইলেন। কিন্তু ছেলেটি মাথা নেড়ে জানিয়ে দেয়, সে ওটা চায় না। পগবা হাসছিলেন বটে, কিন্তু হাসির মধ্যে ছিল প্রত্যাখ্যানের জ্বালা! মিরর।
101,309
গাজীপুর প্রতিনিধি
education
শিক্ষা
০১ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৯:২৭
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৩:০৩
-1
0
মাস্টার্স/ডিপ্লোমা ভর্তির দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ
http://www.prothom-alo.com/education/article/700027
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ সালের মাস্টার্স/ডিপ্লোমা প্রফেশনাল ভর্তির দ্বিতীয় মেধাতালিকা আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।উক্ত ফল বিকেল চারটা থেকে মোবাইল ফোনের খুদে বার্তার মাধ্যমে এবং রাত নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে (www.nu.edu.bd/admissions) জানা যাবে। খুদে বার্তার মাধ্যমে জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে NUATPMRoll No লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
179,263
মানসুরা হোসাইন
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ জুন ২০১৫, ১৩:৫৭
২৯ জুন ২০১৫, ১৪:৩৬
রাজধানী (জাতীয়)
null
ছারপোকায় অতিষ্ঠ বারডেম
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/565354
বারডেম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছারপোকা নিধনে প্রতি বছর খরচ করছে ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত নিধনকারী সংস্থার দাবি অনুযায়ী, সপ্তাহে ছয় দিন ছারপোকা নিধনে কাজ চলছে। যে ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ আসছে, কর্মীরা সেখানেই ছারপোকা নিধনকারী ওষুধ স্প্রে করছেন।তবে বাস্তবতা হলো, কর্মীদের এই ‘পরিশ্রম’ খুব একটা কাজে আসছে না। রোগী ও কর্মীদের ছারপোকার উৎপাত সহ্য করতে হচ্ছে। বিছানা, বালিশ থেকে শুরু করে চেয়ার-টেবিল সর্বত্র ঘাপটি মেরে আছে ছারপোকা। রাতের বেলা তো বটেই, দিনেও অনেক সময় চেয়ারে বসা কষ্টকর।বারডেম কর্তৃপক্ষ ও নিধনকারী সংস্থা ছারপোকার বংশ নির্মূল করতে না পারার ব্যর্থতা নিজেদের কাঁধে নিচ্ছে না। এ জন্য তারা রোগীদের অসহযোগিতাকেই দায়ী করেছে। রাজধানীর শাহবাগে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল-১ ও সেগুনবাগিচায় নারী ও শিশুদের জন্য বারডেম-২ অবস্থিত। বারডেম জেনারেল হাসপাতালে ছারপোকার উৎপাত বেশি। প্রম্পট (পিআরওএমপিটি) সার্ভিসেস বিডি নামক একটি সংস্থা ছারপোকা নিধনে এই দুই হাসপাতালে কাজ করছে।বারডেম জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্স প্রথম আলোকে বলেন, ২০ বছরের বেশি কর্মজীবনে এমন ছারপোকার দৌরাত্ম্য তিনি দেখেননি। তিনি জানান, এই হাসপাতালের কোনো কোনো ওয়ার্ডের অবস্থা ভয়াবহ। অনেক সময় দিনের বেলাতেও চেয়ারে বসতে পারেন না। ছারপোকা কামড়াতে থাকে সারাক্ষণ। রাতের বেলার অবস্থা তো আরও খারাপ। একজন নার্স ছারপোকার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে তিনি জানান।ওই নার্স বলেন, হাসপাতাল থেকেই রোগীর ড্রেস দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীদের কম্বল বা অন্যান্য জিনিস আনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে এসব জিনিস না আনার বিষয়টি কাগজে কলমে থাকায় তা রোগীরা মানছে না। এটা মানানো গেলে ছারপোকার আক্রমণ অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।বারডেমের হাসপাতাল ও অ্যাডমিন অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক শহিদুল হক মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, বারডেম ১ এর ১৬ তলা ভবনের মধ্যে পাঁচ থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত রোগীদের থাকার ব্যবস্থা। রোগীরা অভিযোগ করছেন ছারপোকার। কিন্তু রোগীদের অনেকেই তাঁর বিছানা বা বিছানার পাশের টেবিলে স্প্রে করতে দিতে চান না। অনেকে বলেন, তাঁরা চলে যাওয়ার পরে যা করার করতে। অনেক রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁর বিছানায় স্প্রে দেওয়া সম্ভব হয় না। ‘এখন আগের তুলনায় ছারপোকার আক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে’-বলে তিনি জানান।প্রম্পট সার্ভিসেস বিডি পক্ষে পার্থ সারথি আচার্য বলেন, অনেক ক্ষেত্রে যে রোগী ছারপোকার অভিযোগ করছেন, দেখা যায়, তিনি বাসা থেকে যে কম্বল এনেছেন সেই কম্বলেই ছারপোকা। অনেক রোগী তাঁর বিছানায় স্প্রে করতে দিচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে রোগীদের সহযোগিতা পাওয়াটা জরুরি।তবে জাহানারা গার্ডেন থেকে আসা ভুক্তভোগী এক রোগী বলেন, ‘আমি হাসপাতালে কোনো কম্বল বা বাড়তি কাপড় নিয়ে আসিনি। গায়ের কাপড় ছিল পরিষ্কার। আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি ছারপোকার যন্ত্রণায়।’পার্থ সারথি আচার্য বলেন, শুধু বারডেম হাসপাতাল নয়, যেকোনো হাসপাতাল, হোটেলের উদ্বোধনের দিন থেকেই তেলাপোকা, ছারপোকা ঢুকতে থাকে। ছয় তলা ভবনের বারডেম হাসপাতাল ২ এ ছারপোকা কম। এটি উদ্বোধনের দিন থেকেই ছারপোকা নিধনে কাজ চলছে। বারডেম ১ অনেক পুরাতন এবং বিশাল ভবন। ইলেকট্রিক বোর্ডের ভেতরে যে ছারপোকা বসে থাকে তারা বাইরে না বের হলে মারা যায় না। ছারপোকার মর্জির ওপর নির্ভর করতে হয়। পুরো ভবনে একবারে অভিযান চালানোও সম্ভব না। দুই একটি ছারপোকা থেকে আবার অসংখ্য ছারপোকা জন্ম নিচ্ছে। হাসপাতালের ভেতর ও আশপাশে আবর্জনা পরিষ্কার করা জরুরি। হাসপাতালের ক্ষেত্রে ছারপোকা, তেলাপোকা বা ইঁদুর নিধন চলমান প্রক্রিয়া।
148,737
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:১৩
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:১৪
ভৈরব,নরসিংদী,রায়পুরা,অপরাধ,খবর
0
রায়পুরায় ১৪৪ ধারার মধ্যে দুপক্ষে সংঘর্ষ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1046875
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষায় ১৪৪ ধারা বহাল থাকা অবস্থায়ই গতকাল রোববার দুপুরে আবারও আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদকে অবরোধ করে রাখার গুজবকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ ছিলেন তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ নীলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর মধ্যপাড়ার সজল হোসেন (২২), বড়বাড়ির মো. ওবায়দুল্লাহ (১৮) ও একই গ্রামের সাইজ উদ্দিনকে (৩৫) গতকাল সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নীলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধ ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে গত ১০ নভেম্বর থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। ১৮ নভেম্বর থেকে ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। এরপরও প্রায় প্রতি রাতেই বিরোধী পক্ষের লোকজনদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে উভয় পক্ষ।এই অবস্থায় সাংসদ গতকাল দুপুরে আবদুল হক সরকারের সমর্থক মো. সহি মিয়ার দড়িগাঁওয়ের বাড়ি যান। দুপুরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে সাংসদকে সেখানে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা এ খবরে এগিয়ে এলে হরিপুর এলাকায় আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে হরিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন সাংসদ। বিকেলে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে নিয়ে যায়।রায়পুরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, সাংসদকে অবরোধের গুজবকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
277,651
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৪১
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৪৫
টেলিভিশন
null
মুক্তিযুদ্ধের নাটকে বাঁধন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1387101
অভিনয়জীবনের ১১ বছরে মুক্তিযুদ্ধের নাটকে দেখা যায়নি অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনকে। এবার অপ্রকাশ নামের ছয় পর্বের একটি ধারাবাহিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি।নাটকের গল্পে দেখা যায়, একটি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছেন। উম্মে কুলসুম কলি নামের একটি মেয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গী হয়। সরাসরি অস্ত্র চালিয়ে যুদ্ধ করে না সে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নানা রকম তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে। নাটকের কলি নামের মেয়েটিই হলেন বাঁধন।গত মঙ্গলবার গাজীপুরের পুবাইলে নাটকটির শুটিং শুরু হয়। এমন একটি চরিত্রে অভিনয় বাঁধনের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। শুটিংয়ের বিরতিতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আগে একটা সময়ে অভিনয়টা গুরুত্বসহকারে করিনি। নিজের ও মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবেছি। মাঝখানে মুক্তিযুদ্ধের নাটকে কাজের প্রস্তাব পেলেও ব্যাটে-বলে মেলেনি। এখন অভিনয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি আগের চেয়ে বেশি।’উচ্ছ্বসিত বাঁধন আরও বলেন, ‘এই কাজটি করতে আমার এত ভালো লাগছে, তা বোঝাতে পারব না। এই প্রথম মনে হচ্ছে, একটি ভালো কাজ করছি। এখানে লাক্স তারকা বাঁধনকে পাওয়া যাবে না, একজন চরিত্রাভিনেতাকে পাওয়া যাবে।’নাটকটিতে বাঁধনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার। এর চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক গোলাম সোহরাব দোদুল বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় দিন দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হবে অপ্রকাশ।’
348,028
-1
economy
অর্থনীতি
২১ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৪৭
২১ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৪৭
বাণিজ্য
0
তাইওয়ান বস্ত্রমেলা চলছে ঢাকায়
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1024761
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়া তাইওয়ান বস্ত্রমেলা গতকাল রোববার শুরু হয়েছে। হোটেল সিক্স সিজনের বলরুমে আয়োজিত মেলায় ১৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশন (টিটিএফ) ও ব্যুরো অব ফরেন ট্রেড অব তাইওয়ানের (বিওএফটি) উদ্যোগে ওয়ার্ল্ডেক্স ইন্ডিয়া এক্সিবিশন মেলার আয়োজক। এতে বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র, সুতা, পোশাক, বোতাম, জিপার ইত্যাদি প্রদর্শন করছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলার শেষ দিন আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিজ্ঞপ্তি।
267,394
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৪৮
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:৪৯
মহানগর
0
ক্লাস বর্জন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/771919
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার শ্রেণিকক্ষের ফটকে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস বর্জন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলাকালে কলেজের অধ্যক্ষ মোর্শেদ আহমদ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যান। তবে তাঁরা জানান, হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হলে ফের কর্মসূচি দেওয়া হবে। গত রোববার রাতে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
202,586
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:২৭
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:২৯
টেলিভিশন
0
পাঁচফোড়নে দম্পতি সাব্বির আর শশী
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/828967
এবার ‘পাঁচফোড়ন’ অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে পয়লা বৈশাখে এক দম্পতির মধ্যে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে। আর এসব ঘটনার ফাঁকে ফাঁকে এসেছে নাচ, গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন। এই দম্পতির চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির ও শশী। অনুষ্ঠানে বৈশাখ নিয়ে রয়েছে তিনটি গান। মিল্টন খন্দকারের কথা ও সুরে গান গেয়েছেন কিরণ চন্দ্র রায় ও শাহনাজ বেলী। দ্বৈত কণ্ঠের এই গানের শিল্পী রবি চৌধুরী ও দিনাত জাহান। গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর করেছেন রাজেশ। নিজের লেখা ও সুর করা আর একটি গান গেয়েছেন মিলন মাহমুদ। রয়েছে মাটির তৈরি জিনিসপত্র আর গ্রামবাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বায়োস্কোপ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন। বৈশাখের ওপর রয়েছে ব্যঙ্গাত্মক এবং রসাত্মক নাট্যাংশ।কাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে ফাগুন অডিও ভিশনের এই ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায়।
219,804
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৭
০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১২:২৮
ফুটবল,পিএসজি
0
এভাবেও গোল মিস করা যায়!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1587607
লিগ ওয়ানে কাল অবিশ্বাস্য ব্যর্থতায় একটি গোল করতে পারেননি পিএসজি ফরোয়ার্ড এরিক ম্যাক্সিম চৌপো-মোটিংগোল অনেকভাবেই মিস হতে পারে। কিন্তু পিএসজি ফরোয়ার্ড এরিক ম্যাক্সিম চৌপো-মোটিং কাল যেভাবে গোল মিস করেছেন, তা যেকোনো ফরোয়ার্ডের জন্যই রীতিমতো দুঃস্বপ্ন। ভক্তদের ভুলতেও সময় লাগবে অনেক দিন। পিএসজি ভক্তদের এই ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’ হিসেবে যোগ হয়েছে আরও একটি বিষয়, চৌপো-মোটিং গোলটি করতে না পারায় স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচটি (২-২) জিততে পারেনি পিএসজি। জিতলে কালই লিগ জয় নিশ্চিত হতো টমাস টুখেলের দলের।প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটে মোটিংয়ের গোলেই এগিয়ে ছিল পিএসজি। ঠিক এর ১৩ মিনিট পরই সমতায় ফেরে স্ট্রসবুর্গ। এরপর চোয়াল ঝুলিয়ে দেওয়ার মতো মিসটি করেন ক্যামেরুনের এই স্ট্রাইকার। ডান প্রান্ত থেকে তাঁর সতীর্থ ক্রিস্টোফার এনকুনুকু গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে শট নিয়েছিলেন। বল জালে জড়ানোর পথেই যাচ্ছিল। কিন্তু গোল লাইন পার হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে চৌপো মোটিং কী বুঝে বলটি থামালেন কে জানে! সম্ভবত নিজে গোলটি করতে চেয়েছিলেন বলে বাঁ পা দিয়ে টোকা মেরেছিলেন। কিন্তু একটু আগেভাগেই পা চালিয়ে দেওয়ায় বল উল্টো তাঁর পায়ে লেগে থেমে যায়।২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা এই ম্যাচের শেষ দিকে পিএসজির হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন প্রেসনেল কিমপেমবে। লিঁলের (৩১ ম্যাচ) সঙ্গে ২০ পয়েন্ট ব্যবধান নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পিএসজি (৩০ ম্যাচ)। কাল ম্যাচটা জিতলেই লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়ে যেত পিএসজির। সেটি হয়নি চৌপো-মোটিংয়ের অবিশ্বাস্য গোল মিসের জন্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেরই মত, এটা ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে মিস না হলেও অন্যতম বাজে মিস তো বটেই। চৌপো-মোটিং অবশ্য কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ম্যাচ শেষে, ‘এটা ভীষণ লজ্জার, কারণ বলটা গোল হওয়ার পথেই ছিল। আমি দুঃখিত।’অবিশ্বাস্য সেই গোল মিসের ভিডিও লিংক:
397,163
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৭
২৯ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৭
-1
0
এন ইসলাম স্মরণে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/134308
জাতীয় অধ্যাপক এন ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আলোচনা সভা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এন ইসলামের কর্মজীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম। পরে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে ডায়াবেটিস রোগ, এর বিভিন্ন ধরন ও এ রোগ নিয়ন্ত্রণের নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে বক্তব্য দেন এইচ এম নাজমুল আহসান, এফ এম সিদ্দিকি ও খাজা নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সায়েন্টিফিক পার্টনার ছিল বাংলাদেশের একমাত্র জাপানভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি নিপ্রো জেএমআই ফার্মা। বিজ্ঞপ্তি।
47,315
অনলাইন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
১০ আগস্ট ২০১৭, ১২:৫৬
১০ আগস্ট ২০১৭, ১২:৫৮
বলিউড
0
ভূমি যেভাবে ফ্যাট থেকে ফিট
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1284041
২০১৫ সালে ‘দম লাগাকে হেঁইসা’ সিনেমায় দেখা মিলেছিল প্রায় ৯০ কেজি ওজনের নায়িকার। সেই ভূমি পেদনেকারকে দুই বছর বিরতি দিয়ে আবার হাজির হচ্ছেন পর্দায়। মুক্তির আগেই বেশ শোরগোল ফেলে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে তাঁর নতুন ছবি ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’। এর মধ্যে ভূমিকে যাঁরা দেখেননি, চমকে উঠবেন। ৯০ কেজি ওজনের সেই ভূমি আর এই ভূমিতে যে আকাশ-পাতাল ফারাক।প্রথম ছবিতেই ভূমি জিতেছিলেন ফিল্মফেয়ারের সেরা নবাগতার পুরস্কার। মহারাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া ২৮ বছর বয়সী এ নায়িকা এখন অনেক স্থূলকায় মেয়েরও প্রেরণা, সামনে এগিয়ে যাওয়ার। নিজেকে বদলে ফেলার। সেই বদলানোর শুরুটা ভূমি অবশ্য বেশ আগেই করেছিলেন। ছবির প্রয়োজনেই ভূমি ২০-২৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন। ছবির কাজ শেষ হওয়ার পরের চার মাসে ওজন কমিয়েছেন ২১ কেজি! কেবল মুটিয়েই যাচ্ছি বলে যারা হা-পিত্যেশ করে, ভূমি তাদের জন্য একটা উদাহরণ। ওজনের মিটার যে নিজের হাতেই রাখা যায়!কীভাবে অসাধ্যসাধন করলেন? তেমন কিছুই না। প্রথাগত ভারতীয় খাবারই পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করেছেন ভূমি। ইনস্টাগ্রামে এ নিয়ে ভক্তদের টিপসও দিয়ে হয়েছে তাঁকে বেশ লম্বা সময় ধরে। ভূমি উল্লেখ করেছেন, প্রতিদিন ছয়-সাত লিটার পানি খাওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ‘ডেটক্স ওয়াটার’ (লেবু ও শসা মিশ্রিত পানি) গ্রহণের কথাও বলেন তিনি। মাঝেমধ্যে খেয়েছেন পুদিনাপাতার নির্যাস মিশ্রিত পানি।ভূমি একটা কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করেছেন, ডায়েটিং মানেই কম খাবার গ্রহণ নয়। পরিমিত খাবার গ্রহণই ডায়েটিং। ভূমির রোজকার খাদ্যাভ্যাস হলো রোজ সকালে উঠে এক গ্লাস ‘ডেটক্স ওয়াটার’ কিংবা গরম পানি খাওয়া। এর আধা ঘণ্টা পর মিউসেল (শুকনো ফল, দুধ ও ওটস মিশ্রিত খাবার) ও ননিবিহীন দুধ খেয়েছেন। মাঝেমধ্যে পেটে পড়েছে ফ্ল্যাক্স কিংবা সূর্যমুখীর বিচি।তবে এসব তাঁর সকালের নাশতা নয়। রুটি, দুটি ডিম আর ফল (পেঁপে অথবা আপেল) দিয়ে সকালের নাশতা সেরে ভূমি ঢুঁ মেরেছেন জিমে। সেখানে ঘাম ঝরানোর পর খেয়েছেন আরও পাঁচটি ডিম! ভূমির মতে, সিমেক্স অভ্যাস থাকলে সকালে একটু ভারী নাশতা ভীষণ দরকারি। ভূমির দুপুরের খাবারের মেনুতে থাকে রুটি, সবজি ও ডাল। দুপুরে এক গ্লাস দইয়ের পাশাপাশি লবণ ও জিরা মিশ্রিত পানিও খেয়েছেন। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে গ্রিলড চিকেন ও স্যান্ডউইচও থেকেছে দুপুরের খাবারে। প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ক্যালরিসম্পন্ন এ খাবার প্রসঙ্গে ভূমির মন্তব্য, ‘আমি না খেয়ে থাকিনি, স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ঘাম ঝরিয়েছি।’ ভূমির রাতের খাবারে থেকেছে ফল, গ্রিলড ফিশ, সালাদ এবং বাদামি চালের ভাত। ভূমির মতে, দিন শেষ করার এটাই সেরা মেনু।ভূমির এই খাদ্যাভ্যাস তাঁকে পরিণত করেছে ‘ফ্যাট থেকে ফিট’-এ। টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে।
331,817
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৫
১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৫
মৌলভীবাজার,বিশাল বাংলা
0
অর্থসংকটে খুঁড়িয়ে চলছে গণগ্রন্থাগার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1061655
দেশের পুরোনো পাঠাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম মৌলভীবাজার গণগ্রন্থাগার (পাবলিক লাইব্রেরি)। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ষাটের দশকে চালু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি এখন অর্থসংকটে চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। টাকার অভাবে নতুন বই কেনা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতাও নিয়মিত পাচ্ছেন না। প্রায় দুই লাখ টাকা বিদ্যুতের বিল বাকি। বাকি থাকে পত্রিকার বিলও।গণগ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৬ সালে মৌলভীবাজার পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জেলা পরিষদ আঙিনায় গোল পুকুরের পশ্চিম দিকে টিনের চারচালা বাংলোর মতো ঘরে এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি বুধবার ও জাতীয় ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত গ্রন্থাগারটি সাধারণ পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।তবে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগে গ্রন্থাগারটি দুই দফা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথমবার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়। এ সময় হারিয়ে যায় অনেক দুর্লভ বই। আর ১৯৮৪ সালে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় আট ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেলে এর ছয় হাজার বই নষ্ট হয়ে যায়। ২০১০ সালে টিনের ঘরের জায়গায় গ্রন্থাগারের জন্য ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভবন উঠলেও বাড়ছে না পাঠকের চাহিদামতো নতুন বই। বর্তমানে গ্রন্থাগারটিতে ১৬ ধরনের ১০ হাজার ৩১৭টি বই আছে। প্রতিবছর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে ৫০ থেকে ৬০টি বই কেনা যায়। অর্থসংকটে এর বাইরে নিজেদের পছন্দ ও পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী নতুন বই কেনা সম্ভব হচ্ছে না। লাইব্রেরির সাধারণ সদস্য ২২, আজীবন সদস্য ৩২৫ ও ছাত্র সদস্য ৮১। এখানে দৈনিক পত্রিকা রাখা হয় ছয়টি। গ্রন্থাগারটি পরিচালনার জন্য একজন গ্রন্থাগারিক, একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক, একজন পিয়ন ও একজন ঝাড়ুদার আছেন। এই চারজনের মাসিক বেতন-ভাতা আসে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু এই বেতন-ভাতা তাঁরা নিয়মিত পান না। সদস্যদের টাকা ও বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া অনুদান দিয়ে এই গ্রন্থাগারের খরচ চালানো হয়।গ্রন্থাগারিক শোভাময় রায় বলেন, ‘যা অর্থ মেলে, তা অতিথি আপ্যায়নেই শেষ হয়ে যায়। আগে পৌরসভাসহ বিভিন্ন খাত থেকে থোক কিছু বরাদ্দ মিলত। অনেক বছর সেগুলোও বন্ধ। অনেক সময় নিজের পকেট থেকে অন্যদের বেতন-ভাতা দিই। এক বছরের পত্রিকা বিল বাকি। বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বকেয়া পড়েছে।’গ্রন্থাগারটির নিয়মিত পাঠক নিপুল চন্দ্র দাস বলেন, মাঝে মাঝে পত্রিকা কমে যায়। এটা অর্থসংকটে হয়ে থাকে।গণগ্রন্থাগারের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, লাইব্রেরির অবস্থা খুবই খারাপ। ভবনের দ্বিতীয় তলা না হওয়ায় লাইব্রেরির কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না।মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও গ্রন্থাগারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘আর্থিক সংকটের বিষয়টি মাথায় আছে। ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আরও বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে লেখা হয়েছে। বরাদ্দের জন্য আরও লেখা হবে।’
284,565
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৬
২২ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩৮
সোনারগাঁ,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,রাজধানীর চারপাশ​​,দুর্ঘটনা
0
একজন নিহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1004925
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় গতকাল শুক্রবার বাস, ট্রাক ও টেম্পোর সংঘর্ষে বেদেনা বেগম (৬২) নামের এক নারী নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। দুপুরে মদনপুর-জয়দেবপুর (ঢাকা-বাইপাস) সড়কের বড়ইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেদেনা উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর উত্তর কাজিপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তার হোসেন বলেন, প্রথমে মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় একটি টেম্পো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ওই নারী ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ছাড়া টেম্পো ও বাসের ১০ যাত্রী আহত হয়।
258,234
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:১৪
১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৪৬
খালেদা জিয়া,রাজনীতি,বিএনপি,আওয়ামী লীগ
null
খালেদা জিয়া মাছ খান না, ঝোল খান: মতিয়া
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1401971
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘নির্বাচন করি না’ মুখে বলেন। অথচ ঠিকই সিটি করপোরেশন নির্বাচন করেন। আসলে উনি মাছ খান না, মাছের ঝোল খান। আজ শুক্রবার শেরপুরে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।আজ বেলা ১১টায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ফকিরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে শীতবস্ত্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান বিতরণ করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালেও জাতীয় নির্বাচন হবে। নৌকা এ দেশ এনেছে। নৌকা এ দেশ রক্ষা করতে চায়। আর যারা কুড়িয়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা হিসেবে দেশকে লুট করেছে, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন না ঘটানো পর্যন্ত তিনি বাড়ি থাইকা বাইর হবেন না বলে আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। পরে কান কাইট্টা ঠিকই বাইর হইছেন।’তিনি বলেন, বিএনপি গত নির্বাচন বর্জন করেছে। তাতে নির্বাচন আটকে থাকেনি। এই সংসদের স্পিকার কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সংসদীয় ফোরাম সিপিএ চেয়ারম্যান হয়েছেন। এই সংসদের সদস্য ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি হয়েছেন। বিশ্ব এই দেশের সংসদ সদস্যদের মেনে নিয়েছে। কেউ চোখ বন্ধ করে যদি বলে, ‘আমি দেখি না, দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেছে’। তবে সেটা তার বিষয়। বিএনপি চোখ বন্ধ করে বলছে দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেছে।অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার (এসপি) রফিকুল হাসান গণি, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান, পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকসহ দলীয় এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
350,348
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৮
০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৩০
সরকার
null
ব্লু হোয়েল সম্পর্কে খোঁজ নিতে বিটিআরসিকে চিঠি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1340531
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বহুল আলোচিত ‘ব্লু হোয়েল গেম’ সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এ ঘটনায় বাংলাদেশে কেউ আত্মহত্যা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, যশোরে জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজা এক শিশু সন্তানসহ আত্মসমর্পণ করেছে বলে তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে জঙ্গিরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সারা দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আছে।রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোনো রোহিঙ্গা যদি ইয়াবা, মাদক, সন্ত্রাসী বা কোনো ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
340,695
প্রতিনিধি, গাজীপুর
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:৩৫
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০২
গাজীপুর
null
রোগীদের আস্থা কুড়াচ্ছে ভাসমান হাসপাতাল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1558992
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলদি গ্রামের মনজুর আলমের ডান চোখে ছানি। বেশ কয়েক জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন। পুরোপুরি ভালো হয়নি। কিছুদিন আগে ভাসমান হাসপাতালে চোখে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। এখন তাঁর চোখে সমস্যা নেই। মনজুরের মতো অনেকেই এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন।হাসপাতালটি কালীগঞ্জ উপজেলার গুদারাঘাট এলাকায়। শীতলক্ষ্যা নদীতে ‘জীবন তরী’ নামে ভাসমান একটি  জলযান থেকে আড়াই মাস ধরে এলাকার বাসিন্দাদের স্বল্প খরচে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের পরিচালনাধীন হাসপাতালটি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নোঙর করে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। গত ৩০ জুন হাসপাতালটি সেখানে নোঙর করে। ৭ জুলাই থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। নাক, কান, গলা ও চক্ষুরোগীদের চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞ সার্জন দিয়ে অস্ত্রোপচার এবং হাড়জোড়া, হাড়ভাঙা, পঙ্গু, জন্মগত ঠোঁটকাটা-তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসা, প্লাস্টিক সার্জারিসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাসমান হাসপাতালে প্রতিদিনই দেড় শতাধিক দরিদ্র নারী-পুরুষ ও শিশু দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসক দল যত্নের সঙ্গে সেবা দিচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা এসব সুবিধাবঞ্চিত রোগী চিকিৎসকদের সেবায় মুগ্ধ। চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগী বলেন, ‘মানুষ হাসপাতালে যায় চিকিৎসা নিতে, কিন্তু হাসপাতাল রোগীর বাড়ির ঘাটে আসে, তা আগে দেখিনি। দেখলাম, চিকিৎসা নিলাম। সবকিছুই ভালো লেগেছে।’হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালটি ১২ শয্যার। চিকিৎসক তিনজন। এর মধ্যে একজন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ, একজন চোখের, একজন অর্থোপেডিকসের। চারজন নার্স, দুজন কর্মকর্তাসহ মোট ৩৫ জন জনবল আছে হাসপাতালে। মুমূর্ষু রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য স্পিডবোট আছে দুটি। এখানে নিয়মিত এক্স-রে, রক্তসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা আছে। হাসপাতালটিতে স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা করা হয়। লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে চোখের ছানি অস্ত্রোপচার করা হয়। ভাসমান হাসপাতালে ফ্যাকো সার্জারিরও ব্যবস্থা আছে। পঙ্গু রোগীদের সহায়ক সামগ্রী প্রদান করা হয়।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বাইরের একটি ঘর থেকে রোগীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন। আবার সারিতে দাঁড়িয়ে ভাসমান হাসপাতালের সিঁড়ি দিয়ে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, অন্য হাসপাতালের মতো এখানে স্বল্প পরিসরে সবই আছে। অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ রুম, রোগীদের শয্যাসহ অন্যান্য সুবিধা আছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রচলিত নেতিবাচক ধ্যানধারণার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইমাম, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও  ধাত্রীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন জানান, এ পর্যন্ত ভাসমান হাসপাতালটিতে স্বল্পমূল্যে প্রায় ২০ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চক্ষুরোগ, ইএনটি, অর্থোপেডিক ও ঠোঁটকাটা রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ভাসমান এই হাসপাতালে সরকারি ছুটি ও শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এখানে আরও তিন মাস হাসপাতালের কার্যক্রম চলবে।
377,764
প্রথম আলো ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩১ আগস্ট ২০১৪, ০২:০১
৩১ আগস্ট ২০১৪, ০২:০১
-1
0
ভারতের সারদা কেলেঙ্কারিতে জামায়াতের নাম!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/305962
ভারতে সারদা গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর নাম এসেছে। সারদার অর্থ বাংলাদেশে এনে বিনিয়োগ ও এখান থেকে অন্য দেশে পাঠাতে জামায়াত নেতারা সহযোগিতা করেছিলেন বলে তদন্তে জানা গেছে। গতকাল শনিবার ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত করছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সংস্থাটির সূত্র জানায়, সারদার প্রধান সুদীপ্ত সেন ইডিকে জানিয়েছেন, তাঁদের জালিয়াতির অর্থের একটি অংশ বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করা হয়। আর কিছু অর্থ বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশে পাঠানো হয়। উভয় ক্ষেত্রে সারদাকে সহায়তা করেন জামায়াতের নেতারা। বিনিময়ে তাঁরা কমিশন পান।ইডির এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে পাঠানো অর্থের বড় অংশ আসে নগদ অর্থ হিসেবে। এরপর সেগুলো বাংলাদেশের মুদ্রায় রূপান্তর করা হয়। পরে তার কিছু অংশ রূপান্তর করা হয় পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশের মুদ্রায়।ইডির বিভিন্ন সূত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, সুদীপ্ত সেন স্বীকার করেছেন যে সে দেশের রাজ্যসভার এক সদস্যের মাধ্যমে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। রাজ্যসভার ওই সদস্যকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি এবং ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)।সারদার সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের তদন্ত সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইডি সম্ভবত তাদের বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমস-এর খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।জামায়াতের বক্তব্য: এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের একজন সদস্য গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের একটি ভিত্তিহীন রিপোর্ট এর আগেও প্রকাশিত হয়েছিল। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।
89,419
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:২৩
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:২৩
-1
null
আইএসপির ব্যবসার খরচে আবার পরিবর্তন
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1318686
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) লাইসেন্স ফি আবার পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন প্রস্তাবে আইএসপির বার্ষিক আয় ভাগাভাগির (রেভিনিউ শেয়ারিং) পরিমাণ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশে আইএসপি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সকে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো নেশনওয়াইড, সেন্ট্রাল, জোনাল, ক্যাটাগরি এ, ক্যাটাগরি বি ও ক্যাটাগরি সি। নেশনওয়াইড আইএসপিগুলো সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে। অন্য শ্রেণির আইএসপিগুলো ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে বিটিআরসি নির্ধারিত বিভাগ ও অঞ্চল অনুযায়ী।বিটিআরসির নতুন প্রস্তাবে নেশনওয়াইড আইএসপির লাইসেন্স ফি ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত জুলাইয়ে তৈরি করা আগের প্রস্তাবে নেশনওয়াইড আইএসপির লাইসেন্স ফি বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।লাইসেন্স ফি পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নেশনওয়াইড আইএসপির অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লোকসানে থাকায় তাদের লাইসেন্স ফি ১০ লাখ করা যেতে পারে। এ ছাড়া সেন্ট্রাল জোন আইএসপির লাইসেন্স ফি ৫ লাখ টাকা এবং জোনাল আইএসপির লাইসেন্স ফি ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিটিআরসির আগের প্রস্তাবে সেন্ট্রাল জোন আইএসপির লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ টাকা এবং জোনাল আইএসপির লাইসেন্স ফি ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।বিটিআরসির নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, আইএসপিরা ব্যবসা করে বছরে যা আয় করবে, তার ৫ শতাংশ অর্থ রেভিনিউ শেয়ারিং হিসেবে বিটিআরসিকে দিতে হবে। এ ছাড়া তাদের বার্ষিক আয়ের আরও ১ শতাংশ বিটিআরসির সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে (এসওএফ) জমা দিতে হবে।আইএসপিরা বলছে, নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বেড়ে যাবে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যয়। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আগে যেখানে ১ লাখ টাকা ফি নেওয়া হতো, সেখানে ১০ লাখ টাকা নেওয়া অযৌক্তিক। যারা ইতিমধ্যে লাইসেন্স নিয়েছে, তারা কেন আবার লাইসেন্স নেবে? সরকার একদিকে বলছে, সবার কাছে সব এলাকায় কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে হবে। অন্যদিকে তারাই নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
337,628
নোয়াখালী অফিস|
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:২১
০১ এপ্রিল ২০১৫, ০২:২২
নোয়াখালী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
মতবিনিময়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/491602
ইভ টিজিং, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইকরামুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ। অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান, মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিষ্কৃতি চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
127,685
দিনাজপুর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ জুন ২০১৬, ০০:৫১
২৯ জুন ২০১৬, ০০:৫১
দিনাজপুর,অপরাধ
0
সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশি নিখোঁজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/902494
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্ত দিয়ে গত সোমবার দিবাগত রাতে ভারতে গরু আনতে গিয়েছিলেন সাত বাংলাদেশি। এ সময় গুলি চালায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এরপর ছয়জন ফিরে এলেও একজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।নিখোঁজ ব্যক্তি হলেন উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আইয়ুব আলী। তিনি স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। ফিরে আসার পর থেকে তাঁর সঙ্গীরা পলাতক রয়েছেন।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দিনাজপুর ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. একলিম আবদীন গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার রাত দুইটার দিকে ভারতের বুড়িডাঙ্গি বিএসএফ ক্যাম্পের কাছাকাছি গোলাগুলি হয়েছে। কিন্তু ওইঘটনায় বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি হতাহত হয়েছে কি না নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তবে তারা এখনো কোনো উত্তর দেয়নি।নিখোঁজ আইয়ুব আলীর স্ত্রী আফরুজা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী গত রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। গরু নিয়ে ভারত থেকে ফেরার পথে বিএসএফের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন—এমন খবর লোকমুখে শুনেছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না।স্থানীয় লোকজন বলেন, বিরল উপজেলার ৮ নম্বর ধর্মপুর ইউনিয়নে ডুংডুংগি বিজিবির ক্যাম্প অবস্থিত। অপরদিকে ভারতীয় সীমানায় বিএসএফের বুড়িডাঙ্গি ক্যাম্প। আইয়ুবসহ সাতজন গরু ব্যবসায়ী সোমবার রাতে ওই সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। রাত দুইটার দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ তাঁদের ওপর গুলি চালায়। ছয়জন গরু নিয়ে ফিরে আসেন। তবে গুলিবর্ষণের পর থেকে আইয়ুবের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।এদিকে গতকাল আইয়ুব আলীর সঙ্গীদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদেরও কাউকে পাওয়া যায়নি। গরু আনার ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
236,832
ডা. মো. আজিজুর রহমান
life-style
জীবনযাপন
০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:১৪
০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:১৬
আমার ডাক্তার
0
ইনহেলার ব্যবহার করবেন কীভাবে
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1036823
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালশীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে হাঁপানি রোগীর সমস্যা। এ সময় তাঁদের নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু অনেকেই ইনহেলার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন না। ব্যবহারের ভুলের কারণে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ওষুধ ফুসফুসে না-ও পৌঁছাতে পারে। এতে কাঙ্ক্ষিত ফলও মিলবে না। তাই জেনে নিন ইনহেলার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি:১. মাউথপিস থেকে কভারটি সরান। মুখটি পরিষ্কার কি না, লক্ষ করুন।২. তর্জনী ও বুড়ো আঙুলের মধ্যে ইনহেলারটি ধরুন। এবার ভালোভাবে ঝাঁকান।৩. মাউথপিস মুখের ভেতর এমনভাবে স্থাপন করুন যেন দুই ঠোঁটের মধ্যে ফাঁক না থাকে। কামড়ানো যাবে না। এবার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে বাতাস বের করুন, যতক্ষণ না ফুসফুস খালি হয়।৪. মাথা পেছনে হেলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে গভীর শ্বাস নিন ও ক্যানিস্টারটি চাপ দিয়ে এক মাত্রা ওষুধ নিন।৫. ইনহেলারটি মুখ থেকে সরিয়ে ফেলুন। ১০ সেকেন্ড বা যতক্ষণ সম্ভব শ্বাস ধরে রাখুন। এবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।৬. দ্বিতীয় চাপ বা আরেক মাত্রা ওষুধ নিতে হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার একই পদ্ধতিতে নিন।৭. মাউথপিসের ঢাকনা লাগিয়ে রাখুন।
272,736
বিপাশা রায়
life-style
জীবনযাপন
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৬:০০
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:০৯
নকশা,ফ্যাশন
0
পূজার সাজে
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1327346
শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি। চলছে দুর্গা প্রতিমা গড়ার কাজ। উৎসব, তাই পোশাক কেনাকাটার বিষয়টা তো থাকেই। সে জন্য দোকান, শপিংমলগুলোও এখন মুখরিত ক্রেতাদের আনাগোনায়। উৎসবের পোশাকে বাঙালিয়ানার ধারা বজায় রাখার চেষ্টা থাকে সব সময়ই। অর্থাৎ, পোশাকের কাটছাঁট ও নকশায় থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। এবারের পোশাকের নকশা, কাটছাঁটগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। পোশাকের কাটে বা নকশায় ঐতিহ্য যেমন আছে, তেমনি রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া; পরীক্ষা-নিরীক্ষাও দেখা যায় কোথাও কোথাও।পোশাকে নতুনত্বের কোনো কমতি নেই এবারের উৎসবে। তবে ঈদের ফ্যাশন ধারার প্রভাব এখনো রয়ে গেছে—এমনটাই জানালেন বিক্রেতারা। মিরপুরের বেনারসপল্লি, বেইলি রোড ও সানরাইজ প্লাজার দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেল, পূজার পোশাক হিসেবে শাড়ি চলছে বেশি। বেইলি রোডের টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের স্বত্বাধিকারী মুনিরা ইমদাদ বললেন, পূজার সাজ বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পরনে গরদ শাড়ি ও ভারী গয়না পরে সেজে থাকা কোনো মেয়ের ছবি। যে কারণে পূজার দিনে শাড়ি পরার রীতিটা এখনো অমলিন। গরদের পাশাপাশি এখন রাজশাহী সিল্ক, কাতান, মসলিন—সব ধরনের শাড়িই পরতে দেখা যায় মেয়েদের। বিভিন্ন দোকানের শাড়িগুলো দেখে বোঝা গেল, উপাদানটা যা-ই হোক না কেন, চওড়া পাড়টা চলবে বেশি। জমিনের সঙ্গে বৈপরীত্য থাকবে আঁচল ও পাড়ের রঙে।মিরপুরের বেনারসি কুঠিতে দেখা গেল বেনারসি আর সিল্কের সমাহার। উৎসবের আবহ আনতে বেনারসি আর সিল্ক শাড়ির জমিনে থাকছে লাল, সবুজ, গাঢ় নীলের মতো উজ্জ্বল রং। থাকছে কলকি কিংবা জ্যামিতিক নকশা। ফ্যাশন হাউস আড়ং, অন্যমেলা, মায়াসীর, কে ক্র্যাফটে মিলবে এমন শাড়ি। এদিকে রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বললেন, কয়েক বছর ধরে পূজায় সুতি শাড়িতে ব্লক প্রিন্টের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সৌমিক দাস ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘গরদ শাড়ি একটু ব্যয়বহুল। দামের কথা বিবেচনা করে শাড়ির জন্য সুতি উপাদান বেছে নিয়েছিলেন ডিজাইনাররা। সাধারণত পূজার রং হিসেবে প্রাধান্য পায় সাদা, হালকা সাদা, লাল আর গেরুয়া। এসব রঙের শাড়িতে ব্লক প্রিন্টের কাজ ফোটে বেশ। এ জন্য পূজার শাড়িতে সিল্কের পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্লক প্রিন্ট করা সুতি শাড়ি।’পাঁচ দিন ধরে চলে এই দুর্গাপূজা। তাই একই পোশাকটা তো আর প্রতিদিন পরা যায় না। এ জন্য পূজার কেনাকাটায় একটা বাজেট বরাদ্দ থাকে অন্য ধারার পোশাকের জন্য। অঞ্জন’স-এর শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ বললেন, ‘পূজার জন্য প্রায় প্রতিটি দেশীয় ফ্যাশন হাউসে সালোয়ার-কামিজের আয়োজন। পূজায় সারা দিন ঘুরে বেড়ানোর জন্য সুতি আর বেক্সি ভয়েল কাপড়ের কামিজই বেশি তৈরি করা হয়।’ তিনি যোগ করলেন, পূজায় মোটিফের পাশাপাশি রং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই উৎসবের দিনগুলোকে আরও রাঙিয়ে তুলতে পোশাকে থাকতে পারে লাল, সাদা, হলুদ, বাসন্তী আর নীল রঙের প্রাধান্য। কামিজের কাটছাঁটের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন একটু ঘের দেওয়া কামিজ এখনকার ধারা। তাই পূজার কামিজের এই আবহও দেখা যাবে।পাশাপাশি চলবে টপের সঙ্গে পাজামা আর স্কার্ট। একরঙা টপ তো আছেই, থাকবে ফুলেল নকশার টপও। স্কার্টে এখন চলছে কুঁচির ঝালর। সাদা ফুলেল টপের সঙ্গে লম্বা স্কার্ট পরেই ঘুরে বেড়ানো যেতে পারে পূজার মণ্ডপে মণ্ডপে। কাটছাঁটের আলাদা করে নাম নেই, কিন্তু বৈচিত্র্য আছে এমন নকশার পাজামার দেখা মিলবে দোকানগুলোতে। এ ধরনের পাজামার সঙ্গে ঝুল দেওয়া লম্বা হাতার শর্ট টপ পরে পূজার দিনগুলোয় মাতিয়ে দিতে পারেন সবাইকে।‍পূজায় চিরায়ত সাজ বেশি ভালো লাগে, তাই পোশাকের মধ্যে শাড়ি বেশি জনপ্রিয়। তবে ফিউশনধর্মী ড্রেসও ইদানীং ফ্যাশন হাউসগুলোতে চোখে পড়ে। এ ক্ষেত্রে পোশাকের কাটছাঁটে পাশ্চাত্য আর দেশীয় ঘরানার মিশেল দেখা যায়। বিবিয়ানার ডিজাইনার লিপি খন্দকার বলেন, সাধারণত টিনএজ থেকে তরুণীদের মধ্যে নতুন ঘরানার পোশাকের প্রতি আগ্রহ বেশি কাজ করে। যেহেতু পূজার উৎসব, তাই এ ধরনের পোশাকের কাটছাঁটে বৈচিত্র্য থাকলেও পোশাকের প্রিন্ট বা মোটিফে পূজার সঙ্গে যায়, এমন নকশাই তুলে ধরা হয়।
338,911
মশিউর শান্ত
entertainment
বিনোদন
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০২
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০২
আনন্দ,সংগীত
0
ক্রমেই ব্যস্ত হচ্ছে ইনডালো
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/821893
এ সময়ে বাংলাদেশের নতুন ব্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ইনডালো। এই ব্যান্ডের সদস্যরা এখন ব্যস্ত লাইভ শো, নতুন অ্যালবাম এবং একই সঙ্গে গানের মিউজিক ভিডিও তৈরির কাজ নিয়ে। ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা কিংবা গান নিয়ে কিছু বলার আগে বরং তাঁদের শুরুর গল্পটা শোনা যাক। ইনডালোর শুরুটা চার বছর আগে। এক কথায় বলা যায়, আড্ডার ছলেই ইনডালোর জন্ম। মগবাজারে মিউজিক করতে করতেই চুটিয়ে আড্ডা দিতেন ব্ল্যাকের জন, আসর ব্যান্ডের গিটারিস্ট জুবায়ের, বেইজিস্ট টিটু। এই আড্ডা থেকেই শুরু হয় পরিকল্পনা। আর সেই পরিকল্পনা থেকেই হয়ে গেল ইনডালো।ইনডালোর প্রথম গান রিলিজের কথা বলা যাক। ইনডালো তাদের প্রথম গান করেছিল আইএসডি স্কুলে। ২০১৩ সালের ২ আগস্ট। ওই দিন গানটি রিলিজ করা হয়। এরপর আর থেমে থাকা হয়নি। অভূতপূর্ব সাড়া পান এই গানের মাধ্যমে।ইনডালোর সদস্যরা তাঁদের গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কাজ হচ্ছে নতুন অ্যালবামের। গিটারিস্ট জুবায়ের জানান, নতুন অ্যালবামের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অ্যালবামটি একটু আলাদাভাবে করা হচ্ছে। ইনডালোর প্রথম অ্যালবাম কখন কীভাবে এখানে কে জানে বের হয় গত বছর। অ্যালবামের সঙ্গে ছিল ইনডালোর টি-শার্ট, লকেট, ব্যাজ। আরও ছিল ৬০ পৃষ্ঠার একটি বুকলেট। অ্যালবামের গানগুলো দেশে রেকর্ডিং করা হলেও মাস্টার তৈরি হয় যুক্তরাজ্যে। আর অডিও সিডি প্রকাশের কাজ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে।ইনডালোর সদস্যরা হলেন জন (কণ্ঠ ও গিটার), জুবায়ের (গিটার ও কণ্ঠ), বার্ট (বেইজ ও কণ্ঠ) আর ডিও (ড্রামস)।এখন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির যে অবস্থা, পাইরেসির যে ভয়াল থাবা পড়েছে, এ ব্যাপারে সতর্ক ইনডালোর সদস্যরা। জুবায়ের বলেন, ‘দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে গেছে। এখন যে অবস্থা, তাতে কোনোভাবেই পাইরেসি ঠেকানো যাবে না। সবকিছুর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। পাইরেসি যেমন হচ্ছে, ঠিক তেমনি এখন একজন শিল্পী খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারছেন শ্রোতাদের কাছে। তাই এখন তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে কীভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়, আমরা সেটা নিয়ে ভাবছি।’ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানা গেল, শ্রোতাদের নতুন এবং ব্যতিক্রম গান উপহার দেওয়ার জন্য কাজ করছেন ইনডালোর সদস্যরা।
218,202
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:১০
১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:১০
বাণিজ্য,অপরাধ
0
বেসিক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
http://www.prothom-alo.com/economy/article/426673
ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার দায়ে বেসিক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ব্যাংকের গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেফার আহমেদ ও ঋণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একই শাখার উপব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন।ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ১৪ জানুয়ারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ দুই কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করে। বেসিক ব্যাংকে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি ও অনিয়ম হয়েছে গত প্রায় চার বছরে। এসব তথ্য উদ্ঘাটনের পর এই প্রথম দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পরিদর্শনে বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগরসহ কয়েকটি শাখায় ঋণ কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের তথ্যগুলো উঠে আসে। এসব অনিয়মের অনেক ক্ষেত্রেই সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গত বছরের ৪ জুলাই পর্যন্ত আবদুল হাই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। পরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক ব্যাংকার আলাউদ্দিন এ মজিদকে।
107,833
প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:২০
০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫৪
সিরাজগঞ্জ,শৈত্যপ্রবাহ
0
যে কম্বল এখন ছড়িয়ে গেল সব জেলায়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1572998
শৈত্যপ্রবাহে কদর বেড়েছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় তৈরি কম্বলের। কয়েক দিন শীত বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাজীপুরের কম্বল বিক্রির ধুম। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসছেন। কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নানা রঙের কম্বল।গতকাল বুধবার উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।বছর কুড়ি আগের ঘটনা। যমুনাবিধৌত কাজীপুর উপজেলার চালিতাডাঙা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট কাপড়ের কম্বল তৈরি শুরু করেন। ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝুট কাপড় কিনে এনে সেলাইমেশিনে একটির সঙ্গে আরেকটির জোড়া দিয়ে তৈরি করা হতো এ কম্বল। এ কারণে এর নামকরণ হয় ঝুট কম্বল। সময় পার হয়, ধীরে ধীরে এ কাজে যুক্ত হন উপজেলার আরও কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ। নদীভাঙনের শিকার এসব মানুষ খুঁজে পান উপার্জনের নতুন পথ। তাঁরা দিনরাত একাকার করে তৈরি করেন কম্বল। একপর্যায়ে শিমুলদাইড় বাজার কম্বলের বড় বাজার হিসেবে গড়ে ওঠে। এরপর সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সীমানা পার হয়ে এ কম্বল ছড়িয়ে পড়ে দেশের প্রায় সব জেলায়।বাজারের তিনজন কম্বল ব্যবসায়ী বলেন, ঝুট কাপড়ের পাশাপাশি নতুন কাপড়ের কম্বলও তৈরি করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে নতুন কাপড় কিনে এনে কেটে সেলাই করে এসব কম্বল তৈরি করা হয়। বাজারে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকা দামের কম্বল পাওয়া যায়। প্রথম দিকে শুধু দুস্থ মানুষের কথা চিন্তা করে ঝুট কাপড়ের কম্বল তৈরি করা হতো। এ কম্বল নারীরা বাড়িতে বসে সেলাইমেশিনে জোড়া দিয়ে তৈরি করতেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বাড়তে থাকে কম্বলের চাহিদা। সাধারণ কম্বলের সঙ্গে সঙ্গে বাহারি কম্বল তৈরিও শুরু হয়।উপজেলার শিমুলদাইড়, বরশীভাঙ্গা, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়া, মানিকপোটল, গাড়াবেড়, রশিকপুর, হরিনাথপুর, ভবানীপুর, মাথাইলচাপড়, রৌহাবাড়ি, পলাশপুর, বিলচতল, চকপাড়া, লক্ষ্মীপুর, বেলতৈল, চালিতাডাঙা, মাধবডাঙাসহ অর্ধশতাধিক গ্রামে তৈরি হয় হরেক রঙের ও মানের কম্বল। এসব গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এ কাজের সঙ্গে যুক্ত।ছালাভরা গ্রামের নার্গিস খাতুন, চায়না খাতুনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, তাঁরা একটি কম্বল সেলাই করে ২৫ থেকে ৩০ টাকা মজুরি পান। রান্নাবান্নাসহ ঘরকন্নার কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি কম্বল সেলাই করেন। এতে তাঁর বাড়তি আয় হয়।তিনজন কম্বল ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণ মাপের একটি লেপ তৈরি করতে ২ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু মানভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় কম্বল পাওয়া যায়। ফলে কম্বলের কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে।শিমুলদাইড় বাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল হক, সোহেল রানা, আবদুল লতিফ ও রাশেদুল ইসলামসহ ১০ জন বলেন, এ বাজারে শতাধিক কম্বলের দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকান থেকে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অনেক জেলায় কম্বল সরবরাহ করা হচ্ছে। ক্রেতারা পছন্দ করে দরদাম ঠিক করে টাকা পাঠালে এখান থেকে ট্রাকে কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিদিনই ট্রাকে করে কম্বল যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। রংপুর থেকে কম্বল কিনতে আসা ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এমনিতেই গরিব মানুষের কাছে কাজীপুরের ঝুট কাপড়ের কম্বলের কদর বেশি। দামে কম কিন্তু টেকসই আর ভালো ওম পাওয়া যায় এ কম্বলে। তা ছাড়া নতুন কাপড়ের কম্বলও তৈরি করা হচ্ছে। দেখতে সুন্দর ও নাগালের মধ্যে দাম থাকায় অনেকেই এসব কম্বল কিনছেন।এলাকার রফিকুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সাইদুল ইসলামসহ পাঁচজন বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যক্তি উদ্যোগে কম্বলের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। অনেকে ঋণ করে অর্থের জোগান দেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, কাজীপুরে ঝুট কাপড় ও নতুন কাপড়ে তৈরি হওয়া কম্বল এ অঞ্চলের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।
385,846
-1
opinion
মতামত
২৯ নভেম্বর ২০১৫, ০১:১৫
২৯ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৩১
চিঠিপত্র,মতামত
0
সীমান্তে হত্যা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/697414
সাতক্ষীরা সীমান্তে দুজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও স্থানীয় জনগণ জানিয়েছেন, ভোরবেলায় তাঁরা সীমান্তের ওপারে পরপর কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান। সকালে সেখানে মাঠের মধ্যে দুজনের লাশ দেখা যায়। ওই দুই হতভাগা বাংলাদেশি বলে তাঁরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ সফর, ছিটমহল চুক্তি ও হস্তান্তর, কানেকটিভিটি বা করিডর, অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর, বিভিন্ন পর্যায়ের সফর—প্রভৃতি কারণে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ বলেই ধারণা করা যায়। তার মধ্যে বন্ধুদেশের দুই নাগরিকের সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে যাওয়ার অপরাধে এভাবে হত্যা করা যায়? এমন প্রশ্নই এখন বাংলাদেশিদের মনে ঘুরপাক খায়।বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলায় বিএসএফ ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন সীমান্ত-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করে যাচ্ছেন, তখনই এ ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় সীমান্ত-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা প্রকৃত অর্থে কতটুকু অর্থবহ, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মো. রেদোয়ান হোসেনকালিহাতী, টাঙ্গাইল।
178,844
-1
life-style
জীবনযাপন
২৮ মে ২০১৫, ০১:১৬
২৮ মে ২০১৫, ০১:৩২
আমার ডাক্তার,জীবনধারা
0
প্রশ্নোত্তর
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/539011
প্রশ্ন: জন্ডিস হলে কি হলুদ খাওয়া নিষেধ?উত্তর: বেশির ভাগ জন্ডিস পানিবাহিত এবং ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। তাই রোগীর চোখ ও প্রস্রাবের হলুদ হয়ে যাওয়ার কারণ রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি। এর সঙ্গে খাবারের মসলা বা হলুদের কোনো সম্পর্ক নেই। জন্ডিস হলে সবকিছুই খাওয়া যাবে। তবে যকৃৎকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য কম তেল-মসলাযুক্ত ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই ভালো। আ ফ ম হেলাল উদ্দিন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
142,729
-1
opinion
মতামত
১৮ জুন ২০১৫, ০০:৪১
১৮ জুন ২০১৫, ০০:৪২
চিঠিপত্র,মতামত
0
এসএসসিতে গণিতের ফল
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/555931
২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো গণিত বিষয়ে সৃজনশীল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গণিতভীতি, হরতাল-অবরোধের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া, বারবার রুটিন পরিবর্তন, যথাসময়ে শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব, স্বল্প অনুশীলনের মাধ্যমে পাঠদান, নতুন গণিত বই ইত্যাদি কারণে এবারের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গণিতে সবচেয়ে বেশি অকৃতকার্য হয়েছে। এর ফলে বর্তমান সরকারের শিক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্যে ছন্দপতন ঘটে। ফলাফল প্রকাশের পর এখন চলবে পুনর্নিরীক্ষণ (৭ থেকে ২৯ জুন ২০১৫ পর্যন্ত)। এমতাবস্থায় গণিতের ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণকালে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণে কিছু মতামত পেশ করছি।১. গণিতের খাতা পুনর্নিরীক্ষণে রচনামূলক ও নৈর্ব্যক্তিক খাতার নম্বর একত্র করে পাস ধরলে পাসের হার বাড়বে। ২. রচনামূলক ও নৈর্ব্যক্তিক খাতার (৫ + ৫) = ১০ নম্বর গ্রেস প্রদান করা, তাতে পাসের হার বাড়বে। ৩. শুধু গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অন্য সব বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে গণিত বিষয়ে সদয় বিবেচনাপূর্বক পাস নম্বর প্রদান করা।এতে অনেক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া রোধ হবে, অমূল্য সময় বাঁচবে এবং তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে।জাহিদ খানকুমিল্লা।
146,151
সারফুদ্দিন আহমেদ
opinion
মতামত
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৩২
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৩৬
-1
null
এত্ত বড় আস্পর্দা!
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1331421
দেশটা কি মগের মুল্লুক হয়ে গেল নাকি! পুলিশ এই সব কী শুরু করল? আদব নাই, লেহাজ নাই। ময়মুরুব্বির সম্মান নাই। কথা নাই, বার্তা নাই; যত্রতত্র যার-তার গাড়ি দাঁড় করায়! এত্ত বড় আস্পর্দা; আবার মামলা দেয়! জরিমানা করে!আরে বাবা, আমাদের অন্যায়টা কী ছিল? সোজা পথ ছেড়ে উল্টো পথে গেছি; এই তো! তাতে হয়েছেটা কী? একি আমরা আচানক করেছি? এটা কি আমাদের আনকোরা খাসিলত?আমরা কি আমজনতা? আমরা কি হাত কচলানো আবদুল? রাম-শ্যাম-যদু-মধু? বাপু, বুঝতে হবে—যাঁরা ‘আবদুল’, তাদের জন্য সোজা পথ। উল্টো পথ হলো রাজরাজড়া, সাহেবসুবোর ব্যাপার। এই সোজা ব্যাপারটা বুঝবা না?আহা জানি তো, এই দেশে সোজা পথে গাড়ি চালালে জ্যামে পড়ে থাকতে হয়। আধঘণ্টা-এক ঘণ্টা; কোনো সময় আধাবেলা। আবদুলরা বাসে-সিএনজিতে বসে সেদ্ধ হয়। এটাই নিয়ম। এটাই নিয়তি। যারা বুঝদার, তারা জানে আসলে সাধারণ মানুষের তেমন কাজকর্ম নেই। তারা এই জ্যাম আসলে উপভোগ করে। এই সময়টাতে তারা ঘুমায়। রং-ঢঙের খোয়াব দেখে।রং সাইড, মানে উল্টো পথে ফকফকা রাস্তা। শাঁ করে টান দাও। শাঁই করে চলে যাও। এখন কথা হলো, সোজা পথ এড়িয়ে ‘শাঁ করে টান দিয়ে শাঁই করে’ চলে যাওয়া সোজা ব্যাপার না। এ এক ডিগনিফায়েড ব্যাপার। মাথায় রাখতে হবে, উল্টো পথে যাঁরা যান, তাঁরা কাজের লোক। সাংঘাতিক জরুরি কাজ মাথায় নিয়ে তাঁদের চলতে হয়। তা ছাড়া আবদুল আর এলিট যদি এক পথে যায়, তাহলে তো তাঁদের পক্ষে ‘নালতের মিত্তির বলিয়া সমাজে আর মুখ বাহির করিবার জো রহিবে না।’ কিন্তু হঠাৎ করেই পুলিশ আশরাফ-আতরাফের এই ব্যাপার বেমালুম ভুলে গেল কেন, হঠাৎ পুলিশের আদব লেহাজ ‘নাই’ হয়ে গেল কেন, সেটাই মাথায় ঢুকছে না।বর্ষাকালে বিলের মধ্যে বগা ধরতে যে রকম ফাঁদ পাতা হয়, সেই কায়দায় রমনা পার্কের উল্টো দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধার সামনে ফাঁদ পেতে বসে ছিল পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একটি দল। সেই ফাঁদে ফেলে তারা আমাদের কী বেইজ্জতিটাই না করল! মামলা দিল। জরিমানা করল। ‘চোরের দশ দিন, গৃহস্থের এক দিন’—এই রকম জীবনমুখী বাগধারা পর্যন্ত পাবলিককে দিয়ে আমাদের শুনিয়ে দিল পুলিশ।এই ‘আমরা’ মানে কারা? আমাদের মধ্যে আছেন প্রতিমন্ত্রী, এমপি, সচিব, প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ, পুলিশ, সাংবাদিক, বিচারক আর ব্যবসায়ী।এইবার একটু মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা করে দ্যাখ দেখি বাপু! এদের বাদ দিলে রাষ্ট্র থাকে? সরকার থাকে? থাকে না। এরাই দেশ চালায়। এরাই সমাজের মাথা। দেশের মাথা।মাথাই সব। হাত-পা চিরকাল কাজই করে এসেছে। তাদের চালায় কে? চালায় মাথা। এই কারণে হাত-পা চিরকাল মাথার নিচেই থাকে। এই সাধারণ বিষয়টা বুঝে আসে না? মাথা যেদিকে যাবে, বডি সেদিকে যেতে বাধ্য। নাকি? হিসাব তো সোজা!বড় চিন্তার কথা, যার নির্দেশেই হোক, পুলিশ সবখানে না পারলেও আপাতত রাস্তায় ‘মাথা’ ঘোরানোর কাজ শুরু করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা চালকদের দাবড়ে বলেছেন, ‘আইজকা কোনো মাফ নাই। দ্যাখেন না সব বড় বড় স্যারেরা আইসা পড়ছে। দুদকের চেয়ারম্যান স্যার আসছিলেন। প্রতিমন্ত্রীর গাড়িরেও আইজকা মামলা দিছি। প্রতিদিন তো উল্টো যান, আইজকা একটা মামলা নিয়া যান।’দুর্জনেরা বলছে, এখন রাস্তা থেকে অফিস-আদালত; কোর্ট-কাছারি, সবখানে মাথাগুলো রং সাইড থেকে সোজা পথে ঘুরিয়ে দেওয়া দরকার। মাথা ঘুরলে বডি ঘুরবে।লেখক : সাংবাদিক
339,393
ফরিদপুর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০৪
৩০ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০৬
ফরিদপুর,ঢাকা বিভাগ
0
ফিরে এলেন সুবর্ণা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1162921
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চাপা পড়ে আহত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুবর্ণা মজুমদার (১৯) অবশেষে ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছেন। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ ২ মাস ১০ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরে সুবর্ণাকে ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনা হয়। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, সুবর্ণাকে বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে, তাঁকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে ও তাঁর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সুবর্ণাকে বাগেরহাটের চিতলমারীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
314,753
ভোলা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৫৩
০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৫৩
ভোলা,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/118105
ভোলার লালমোহন উপজেলায় নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক মাদকাসক্ত স্বামী। পরে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।গত রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের সাদাপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ স্বামী মো. ইউসুফকে আটক করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। নিহত স্ত্রীর লাশ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় গতকাল সোমবার থানায় ইউসুফের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।পুলিশ ও প্রতিবেশীদের ভাষ্য মতে, ইউসুফ চট্টগ্রাম শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। হরতাল-অবরোধের কারণে তিনি গত দুই-তিন মাস বাড়িতে এসে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন।কিন্তু প্রতিদিন কাজ পান না। আর দিনে যে অর্থ আয় হতো, ইউসুফ তার অধিকাংশই নেশাদ্রব্যের পেছনে খরচ করতেন। এ নিয়ে স্ত্রী জোসনা বেগমের (২৭) সঙ্গে প্রায়ই ইউসুফের ঝগড়া হতো।সংসারের ছয়-সাতজনের খাবার জোগাতে জোসনা গত রোববার বাবার বাড়ি থেকে দুই হাজার টাকা আনেন। নেশাদ্রব্য কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ইউসুফ ওই টাকা দাবি করেন। জোসনা বেগম স্বামীকে টাকা না দেওয়ায় ছুরি দিয়ে তিনি জোসনাকে গলা কেটে হত্যা করেন।পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ইউসুফ নিজেও গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই লোকজন চলে আসেন এবং ইউসুফকে বাধা দেন।
41,914
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ জুলাই ২০১৬, ১৪:২১
১৫ জুলাই ২০১৬, ১৪:২৪
রাজনীতি
null
জাপা চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী হলেন বাবলু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/915040
জাতীয় পার্টির (জাপার) প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক ও প্রেস সচিব সুনীল শুভরায়ের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই নিয়োগ দিয়েছেন। বাবলু দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্বের অতিরিক্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের যুববিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ এর (ক) ধারা অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত এর আগে বাবলু জাপার মহাসচিব ছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে তাঁকে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করেন এরশাদ। সম্প্রতি দলের কাউন্সিলে রুহুল আমিন মহাসচিব হিসেবে আবার নির্বাচিত হন।
240,153
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ মে ২০১৫, ০১:৪২
২২ মে ২০১৫, ০১:৪৩
চুয়াডাঙ্গা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
স্মরণসভা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/534112
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমানের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ মিলনায়তনে এ সভা হয়। কলেজ অধ্যক্ষ শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় মরহুমের স্বজন ও সহকর্মীরা স্মৃতিচারণা করেন। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ইসহাক আলী। ১৭ মে ফরিদপুরের কামারখালীতে দুটি বাসের সংঘর্ষে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের যাত্রী মিজানুর রহমান মারা যান। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি|
141,022
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ মে ২০১৫, ০১:৪২
০৫ মে ২০১৫, ০১:৪৩
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,আইন ও বিচার
0
বাদী হাজির না হওয়ায় শুনানি হয়নি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/519565
বাদী হাজির না হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার শুনানি হয়নি। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরুল হুদার আদালতে মামলার বাদী নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুফিয়ান সিদ্দিকীকে জেরার দিন ধার্য ছিল।চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবুল হাশেম জানান, বাদীকে জেরার দিন ধার্য থাকলেও তিনি আদালতে হাজির হননি। এ ছাড়া মামলার আসামি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, ২০ নম্বর দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীসহ অনেক আসামি হাজির হননি। তাঁরা আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিয়ে সময়ের আবেদন করেন। পরে আদালত মঙ্গলবারও শুনানির দিন ধার্য রাখেন।১৯৯৩ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় তৎকালীন নগর ছাত্রলীগ নেতা সুফিয়ান সিদ্দিকীর ওপর অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুফিয়ান সিদ্দিকী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় নাছিরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৯৯৪ সালে এই মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নেন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তা প্রত্যাহার হয়।গত ৬ এপ্রিল মামলার বাদীকে আংশিক জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ওই দিন আইনজীবীদের জেরার মুখে বাদী সুফিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন, ঘটনাস্থলে আসামিরা ছিলেন না। মামলার এজাহার তিনি লেখেননি, পড়েও দেখেননি।
136,490
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৪৪
১৭ আগস্ট ২০১৮, ১১:৪২
দুর্নীতি,দুদক
0
পেট্রোবাংলার ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1553928
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে দুর্নীতির মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম।দুদক সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁরা হলেন উপমহাব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড কন্টাক্ট ম্যানেজমেন্ট) মো. নাজমুল হক; ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান; ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. সাইদ মাসুদ; উপব্যবস্থাপক (মেইনেটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মাহাবুব হোসেন; সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. মনিরুজ্জামান; সহকারী ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহাবুব রশিদ ও  ব্যবস্থাপক (স্টোর) মো. দিদারুল কবির।১৩ আগস্ট পেট্রোবাংলার এসব কর্মকর্তাকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়। এই সাতজন ছাড়াও পেট্রোবাংলার আরও ২৫ জনকে তলব করে সংস্থাটি। তাঁদের ঈদের পরে বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।২৮ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী; উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম; উপব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান; উপব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান; উপব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান;  উপব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ৶ নাথ বর্মণ; ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপমহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অপারেশন) জোবায়ের আলীকে।ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমদ; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন), কোম্পানি সেক্রেটারি আবুল কাশেম প্রধানীয়া ও মোশারফ হোসেন সরকার; মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার; ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার; ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান; ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম এবং উপব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হককে তলব করা হয়েছে ২৯ আগস্ট। ৩০ আগস্ট দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে উপব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মো. খলিলুর রহমান; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারি ও গোপাল চন্দ্র সাহা; ব্যবস্থাপক (হিসাব) সারোয়ার হোসেন; ব্যবস্থাপক (সেলস ও রেভিনিউ কালেকশন) মো. কামরুল হাসান; উপব্যবস্থাপক (মার্কেটিং ও কাস্টমার সার্ভিসেস) মোহাম্মদ নোমান প্রধানীয়া; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল আলম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) আল আমিনকে।আগামী রোববার জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি)।এর আগে গত দুই সপ্তাহে বিসিএমসিএলের সাবেক চার এমডি এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব, প্রকৌশলী খুরশীদুল হাসান, আমিনুজ্জামান ও মিজানুর রহমান এবং মহাব্যবস্থাপক (সারফেস অপারেশন) সাইফুল ইসলাম সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।কয়লা লোপাটের ঘটনায় গত ২৭ জুলাই রাত ১২টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ১৯ জন আসামির বিরেুদ্ধে খনির ১ লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা গায়েবের অভিযোগ আনা হয়। যার তদন্তের ভার পড়ে দুদকের ওপর। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুদক। এর আগে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কাগজে-কলমে বেশি কয়লার মজুত দেখিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২৩ জুলাই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল দুদক।দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম।অভিযোগের বিষয়ে দুদক জানায়, ২০০৫ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। দীর্ঘ ১৩ বছরে কয়লা উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টন। বর্তমানে কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুত থাকার কথা ১ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু বাস্তবে কয়লার মজুত পাওয়া গেছে ১৪ হাজার টনের মতো। ১ লাখ ১৬ হাজার টনের মতো কয়লার কোনো হদিস নেই। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র চুরি করে খোলা বাজারে এসব কয়লা বিক্রি করে দিয়েছে।
373,840
-1
economy
অর্থনীতি
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৩৯
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৩৯
বিশ্লেষণ,বাণিজ্য
0
জমির উচ্চমূল্যই ফ্ল্যাটের দাম বাড়িয়ে দেয়
http://www.prothom-alo.com/economy/article/723610
‘ঢাকায় একটি আবাসন প্রকল্পের ৬০-৭০ শতাংশ খরচই হয় জমির পেছনে। এর ওপর ফ্ল্যাটের ভাগাভাগির বাইরেও জমির মালিকদের সাইনিং মানি দিতে হয়। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রীর কিছু উপকরণের দাম ও শ্রমিকদের মজুরি গেছে বেড়ে। ফলে মান বজায় রাখতে গেলে দাম কমানোর সুযোগ থাকে না। তারপরও আমরা মুনাফার পরিমাণ কমিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রি করছি।’ডমিনো ডেভেলপমেন্টসের উপমহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) এনামুল হক গতকাল রোববার প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যম আয়ের মানুষ ছোট আকারের ফ্ল্যাট খুঁজে থাকেন। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে সুউচ্চ ভবন করা গেলে সব ধরনের নাগরিক সুবিধাসহ ৬০০-৭০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ১৮-২০ লাখ টাকার মধ্যে দেওয়া যাবে। এ জন্য রাজধানীর সঙ্গে এসব জেলার যোগাযোগব্যবস্থা দ্রুত উন্নত করতে হবে। তখন ব্যাংক যদি এক অঙ্কের সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেয়, তবে অনেকেই ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।বিভিন্ন অখ্যাত আবাসন প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা বন্ধে এনামুল হকের পরামর্শ, অনেক ক্রেতাই টাকা দিয়ে বসে থাকেন, কিন্তু সময়মতো ফ্ল্যাট বুঝে পান না। ক্রেতারা যদি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দিতে পারেন, তাতে ভোগান্তি বন্ধ হবে। কারণ, ব্যাংক ভবনের কাজের অগ্রগতি দেখেই টাকা ছাড় করবে। এখানে ব্যাংকই গ্যারান্টার বা জিম্মাদার হিসেবে কাজ করবে। তবে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা করলেই এটি সম্ভব হবে।এনামুল হক বলেন, ‘রিহ্যাবের শীতকালীন মেলায় আমরা প্রত্যাশার চেয়েও ভালো সাড়া পেয়েছি। মেলায় প্রায় তিন হাজার ক্রেতাকে আমাদের প্রকল্পগুলো সম্পর্কে তথ্য দিয়েছি। এর মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ ক্রেতা শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যাট কিনবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
187,316
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
১৯ অক্টোবর ২০১৬, ২০:১০
১৯ অক্টোবর ২০১৬, ২০:৩২
বলিউড
null
পাকিস্তানি শিল্পীদের বর্জন করলেন করণ
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1003303
আর মাত্র কয়েক দিন পরই মুক্তি পাওয়ার কথা করণ জোহরের ছবি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’। কিন্তু বহুপ্রতীক্ষিত এই ছবির মুক্তি এখন হুমকির মুখে। কারণ, এখানে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা হওয়ার পর বলিউড থেকে পাকিস্তানি তারকাদের বর্জনের ঘোষণা দেয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) নামের ভারতের একটি রাজনৈতিক দল। তবে, বলিউডের বেশির ভাগ শিল্পীই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। এই দলে করণও ছিলেন। ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ থেকে ফাওয়াদের দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়ার দাবিতে এমএনএস দলের নেতা-কর্মীরা গত মাসে করণ জোহরের কার্যালয় ঘেরাও করেছিল। তখন এক সাক্ষাৎকারে করণ বলেছিলেন, ‘বলিউড থেকে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করা কোনো সমাধান নয়।’ কিন্তু এখন এই করণই তাঁর কথার সুর পাল্টে ফেলেছেন। বলছেন, সবার আগে দেশ। দেশকে ভালোবেসে তিনি তাঁর ভবিষ্যতের কোনো ছবিতে পাকিস্তানের শিল্পীকে নেবেন না বলেও একটি ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে কেন এত দিন চুপ ছিলেন, তা-ও জানালেন। ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় ৪৪ বছর বয়সী এই নির্মাতা বলেন, ভারতের সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় তিনি গভীরভাবে দুঃখিত ছিলেন বলে এত দিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজের দেশ। ভারতের সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আর কোনো দিন পাকিস্তানি তারকাদের সঙ্গে কাজ করবেন না। প্রসঙ্গত, এমএনএস নামের সেই রাজনৈতিক দলটি দুই দিন আগে একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছিল, তারা সিনেমা হলে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ প্রদর্শন করতে দেবে না। কেউ এটি বড় পর্দায় মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করলে হল ভাঙচুর করার হুমকিও দেয় তারা। এ ঘটনার পর করণ জোহর পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চান বলেও শোনা গেছে। অনেকে ধারণা করছেন, ছবি মুক্তি নিয়ে যে ঝামেলা চলছে, তার নিষ্পত্তি করতেই পাকিস্তানি তারকাদের বর্জন করার কথা বলছেন করণ। কারণ, তাঁর জনপ্রিয় টক শো ‘কফি উইথ করণ’-এর নতুন মৌসুমের প্রথম পর্বের অতিথি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানি তারকা ফাওয়াদকেই। আর এখন তিনিই কিনা বলছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। অনেকেই অবশ্য করণ জোহরের এমন দুমুখো আচরণের সমালোচনা করছেন। তবে আপাতত তিনি এসব নিয়ে একদমই মাথা ঘামাচ্ছেন বলে মনে হয় না। ৫৫ কোটি রুপি বাজেটের ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ভালোয় ভালোয় মুক্তি দেওয়াই এখন তাঁর মূল চিন্তা। এনডিটিভি।
257,140
বাসস, টাঙ্গাইল
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ মার্চ ২০১৯, ১৮:৩৭
১৫ মার্চ ২০১৯, ১১:১৩
সরকার,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,মানবতা,শেখ হাসিনা,টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ
null
আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে বিত্তশালীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1583455
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার জন্য দেশের বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তাহলে আর দেশের জনগণের কষ্ট থাকবে না। টাঙ্গাইলের কুমুদিনী ট্রাস্ট কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার বিকেলে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রণদা প্রসাদ সাহা আমাদের দেশের নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো থেকে শুরু করে মানবতার সেবার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার আমাদের দেশে অনেক বিত্তশালী আছেন, তাঁরাও করতে পারেন। তাহলে আমাদের দেশের মানুষের আর কোনো কষ্ট থাকবে না।’কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের (বিডি) ৮৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে এ বছরের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। তাঁরা হচ্ছেন তদানীন্তন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), ১৯৫২ সালের ভাষাসৈনিক ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে শেখ রেহানা এবং জাতীয় কবির পক্ষে কবির নাতনি খিল খিল কাজী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন।প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ব্যাপকভাবে মানুষের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি বিধবাদের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি শুধু মানুষের সেবা করার জন্য এবং মানুষকে মানুষের মতো বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিরাট এক কর্মযজ্ঞ গড়ে তুলেছিলেন।অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার পরও রণদা প্রসাদ ভোগ-বিলাসে ডুবে যাননি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বরং অর্জিত অর্থ মানবকল্যাণে ব্যয় করেছেন। নারী শিক্ষার প্রসারে রণদা প্রসাদের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি একে একে ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী কলেজ ও দেবেন্দ্র কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তিনি আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।শেখ হাসিনা বলেন, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরবর্তী প্রজন্ম প্রতিষ্ঠাতার মানবিক প্রয়াস-প্রান্তিক অসহায় জনপদে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও নারী শিক্ষা প্রসারে নিজেদের নিবেদিত রেখেছেন। ট্রাস্টের সেবা কর্মযজ্ঞে যুক্ত হয়েছে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ এবং রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়। অনগ্রসর মানুষের কল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কুমুদিনী ট্রেড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ট্রাস্টের পরিচালক ও ভাষাসৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি এবং পরিচালক শ্রীমতি সাহা। স্বাগত বক্তৃতা দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন। অনুষ্ঠানে রণদা প্রসাদ সাহার জীবন এবং কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। জাতীয় সংগীত এবং দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু এই অনুষ্ঠানে ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে চড়ে টাঙ্গাইলে পৌঁছান। মির্জাপুর হেলিপ্যাডে জেলা পুলিশ প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে প্রধানমন্ত্রী কুমুদিনী কমপ্লেক্স থেকে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে জেলার ৩১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।আরপি সাহা নামে পরিচিত রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আরপি সাহা ও তাঁর একমাত্র ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। কুমুদিনী পরিবার ২০১৫ সালে রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রবর্তন করে।
393,744
প্রতিনিধি, মাদারীপুর
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩১
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৭
অপরাধ,মাদারীপুর,সাইবার অপরাধ,যৌন হয়রানি,ফেসবুক
null
ফেসবুকে কিশোরীর আপত্তিকর ছবি, যুবক আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1577570
মাদারীপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-৮। আজ সোমবার দুপুরে শিবচর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক রফিকুল একই এলাকার মোহন হাওলাদারের ছেলে।র‌্যাব-৮-এর সূত্রমতে, আপত্তিকর ছবি প্রকাশের অভিযোগে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা গত শনিবার র‌্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুলকে আটক করে র‌্যাব।র‌্যাবের দাবি, ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার এ ঘটনায় একাধিকবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে উল্টো ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে র‌্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে র‌্যাব আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. রইছউদ্দিন বলেন, রফিকুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেছে। আটক রফিকুলের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে শিবচর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
389,200
খুলনা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৩১
২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৫৪
খুলনা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা
null
ওষুধের দোকানে চলে ডাকঘরের কার্যক্রম
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1008537
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের আক্তার হোসেন সম্প্রতি চাকরির আবেদন পাঠাতে তাঁর এলাকার ডাকঘরে যান। রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা বাজারে গিয়ে দেখেন ডাকঘরের স্থানটিতে আবর্জনার স্তূপ। পাশে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই বাজারে পোস্টমাস্টারের ওষুধের দোকানে ডাকঘরের কার্যক্রম চলে। পরে সেখানে গিয়ে তিনি চাকরির আবেদনটি পাঠান।আক্তার হোসেন বলেন, বর্তমানে ডাকঘরের প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে। তারপরও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ চিঠি আদান-প্রদানে এখনো ডাকঘরের ওপর নির্ভরশীল। এলাকার মানুষের স্বার্থে ডাকঘরটি টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন।কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বাঁকা বাজার ডাকঘরে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। ডাকঘরটি খুঁজে পেতে অনেককেই রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। ওষুধের দোকানে ভিড় হলে ডাকঘরে আসা লোকদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়। তা ছাড়া নিজস্ব ভবন না থাকায় ডাকঘরের অন্যান্য কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ডাকঘরকে পোস্ট-ই সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলছে সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডাকঘরগুলোর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প খরচে বিশেষ কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তা ছাড়া বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন ভাতা ডাকঘরের মাধ্যমেই পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাঁকা ডাকঘরেও দেওয়া হয়েছে তিনটি ল্যাপটপ ও প্রিন্টার। কিন্তু নিজস্ব ভবন না থাকায় এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ফলে এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাঁকা ও আশপাশের এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।বাঁকা বাজার ডাকঘরের পোস্টমাস্টার মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রায় ৫০ বছর আগে ডাকঘরটির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় ১০ বছর ধরে এখানকার পোস্টমাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আগে খড়কুটা ও গোলপাতা দিয়ে তৈরি ঘরের মধ্যে শাখা ডাকঘরটির কার্যক্রম চলত। ২০০৯ সালে জরাজীর্ণ ঘরটি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে আমার ওষুধের দোকানে ডাকঘরের কার্যক্রম চলছে। ভবন পুনর্নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদনও করলেও কোনো ফল মেলেনি।’কোথাও ডাকঘরের ভবন তৈরি করতে কমপক্ষে তিন শতক জমির প্রয়োজন। তবে সেটা হতে হবে অনুদানের। কিন্তু বাঁকা বাজারে ওই পরিমাণ জমি না পাওয়ায় ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইকগাছা উপবিভাগ ডাকঘর পরিদর্শক শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাঁকা বাজারে ডাকঘরের নতুন ভবন তৈরি করতে তিন শতক জমির প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে আছে এক শতকেরও কম। এ জন্য সেখানে ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত জায়গা কেউ দান করলে, দ্রুত সম্ভব ভবন নির্মাণ করা হবে।’রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ গোলদার বলেন, বাঁকা বাজারে দ্রুত ডাকঘরের ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য জমি বাছাইয়ের কাজ চলছে।
259,740
নরসিংদী প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ নভেম্বর ২০১৫, ০২:০৩
১৮ নভেম্বর ২০১৫, ০২:০৪
অপরাধ
0
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/686752
নরসিংদীতে একটি বিদেশি পিস্তলসহ হেনোয়ার হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সদর উপজেলার পাথরপাড়া এলাকা থেকে গত সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। হেনোয়ার নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের বাসিন্দা। গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, হেনোয়ার একজন পেশাদার ডাকাত। উপপরিদর্শক (এসআই) রুপম সরকার বলেন, হেনোয়ারের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
175,325
ধরমপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ জুলাই ২০১৭, ০১:০৩
১৯ জুলাই ২০১৭, ০১:০৮
-1
0
দেড় বছরেও মেলেনি বিদ্যুত থমকে আছে ভবন হস্তান্তর
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1257001
সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের সুনুইপাড়া গ্রামসংলগ্ন মধ্যনগর ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ছয় মাস আগে। সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার ভবনটিতে বিদ্যুৎ–সংযোগ পেতে দেড় বছর আগে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে আবেদন করেন। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়নি ভবনটিতে। ফলে থমকে আছে ভবন হস্তান্তরের কাজ। এতে মা ও শিশু সেবা কার্যক্রম আটকে আছে।স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ কার্যালয়, এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির তিনতলা ভবন, আবাসিক ভবন, গভীর নলকূপ স্থাপন, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুৎ–সংযোগ ও ভবনের চারদিকে দেয়ালসহ উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারি পায় সম্রাট এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা হস্তান্তরের কথা ছিল। ঠিকাদার ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করেন। এর এক বছর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ভবনে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে ভবনটি হস্তান্তর করতে পারছেন না তিনি। সরেজমিনে গত শনিবার দুপুরে দেখা যায়, নবনির্মিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির গেটে তালা লাগানো। ভবন দুটির কোনোটিতেই নামফলক নেই। ভবনে ও দেয়ালে রং লাগানো হয়নি। কেন্দ্রটির দক্ষিণ পাশের দেয়ালের নিচ দিয়ে ফাঁকা রয়ে গেছে। সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ভবন চত্বরে পর্যাপ্ত মাটি ফেলা হয়নি।মধ্যনগর বাজারের বাসিন্দা গৃহিণী মাকসুদা বেগম বলেন, সঠিক চিকিৎসার অভাবে এখানে প্রায়ই মা ও শিশুর মৃত্যু ঘটে। কেন্দ্রটি চালু হলে মা ও শিশুর পক্ষে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সহজ হবে। মৃত্যুর হার কমবে। তাই দ্রুত কেন্দ্রটি চালু করার উদ্যোগ নিতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, মধ্যনগর থানার অধীন চারটি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষের বাস। দ্রুত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করে এটি চালু করা হলে স্থানীয় মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মনিরুল হক বলেন, বিদ্যুৎ–সংযোগ না পাওয়ায় ঠিকাদার ভবনটি হস্তান্তর করতে পারছেন না।এদিকে ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে নিজেকে ঠিকাদারের ব্যবসায়িক অংশীদার বলে দাবি করে শাহাদাত হোসেন বলেন, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে দেড় বছর আগে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করা হলেও এখনো তা পাওয়া যায়নি। বিদ্যুৎ–সংযোগ পেলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে।নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মজিবুর রহমান ছুটিতে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে ওই কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (জিএম কারিগরি) বাবুল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, এখনো ওই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি হস্তান্তর করা হয়নি। ভবন হস্তান্তরের কাজ শেষ হলে সেখানে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করা হবে।স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ‘মধ্যনগর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিলম্বিত হওয়ার বিষয়টি পরিকল্পনা বিভাগ ও ঠিকাদার কোনো পক্ষেই আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
327,349
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) ও নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:২৮
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৩০
বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
রায়পুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাতার লাশ উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/626332
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় হামদে রাব্বী নামে এক ব্যক্তির লাশ গতকাল মঙ্গলবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পুকুর থেকে গতকাল হাওয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।রায়পুরে নিহত হামদে রাব্বী (২৮) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পেয়ারাপুর গ্রামের নূরু পাটোয়ারীর ছেলে। এ ঘটনায় রাব্বীর স্ত্রী জোছনা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী জানান, প্রায় তিন বছর আগে সদর উপজেলার নূরু পাটোয়ারীর ছেলে রাব্বীর সঙ্গে বামনী ইউনিয়নের জয়নাল আবেদিনের মেয়ে জোছনা আক্তারের বিয়ে হয়। এরপর তাঁরা রায়পুর পৌরশহরের মধুপুরে একটি ভাড়া বাসা নিয়ে থাকা শুরু করেন। কয়েক দিন আগে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় জোছনা রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যান। গতকাল ভোরে জোছনাদের বাড়ির পাশের বাগানের একটি ছোট সুপারিগাছের সঙ্গে হামদে রাব্বীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।হামদে রাব্বীর ভাই জাফর আহম্মেদ বলেন, ছোট একটি সুপারিগাছ থেকে রাব্বীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই গাছের সঙ্গে কেউ আত্মহত্যা করতে পারবে না। তাঁকে হত্যা করে লাশ ওই গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।জোছনা আক্তার জানান, আগেও কয়েকবার হামদে রাব্বী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। গত সোমবার রাতে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে তিনি (হামদে রাব্বী) বাড়ির পাশে এসে আত্মহত্যা করেন।রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাব্বী আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বীর কামাটখালী গ্রামের একটি পুকুর থেকে হাওয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাওয়া উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের আবদুল আজিজ মিয়ার মেয়ে। আজিজ মিয়া অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে প্রতিবেশী বীর কামাটখালী গ্রামের মো. বাহার উদ্দিনের ছেলে পাভেল মিয়া তাঁর মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁর মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও পাভেলের বাবা-মা ওই বিয়ে মেনে নেননি। যৌতুক দাবি করাসহ বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর মেয়েকে মারধর করতেন পাভেল। পাভেলই তাঁর মেয়েকে হত্যা করে এখন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাভেল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুরাদ আলী শেখ বলেন, লাশের সুরতহাল করার সময় পানিতে ডুবে মৃত্যু ঘটার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। শরীরে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্নও নেই। তাই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
167,314
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ অক্টোবর ২০১৪, ০২:০৯
০৩ অক্টোবর ২০১৪, ০২:১০
গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
বেতন-ভাতার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/336646
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা-চৌরাস্তার আউচপাড়া এলাকায় একটি সোয়েটার কারখানার শ্রমিকেরা তাঁদের বকেয়া বেতন-ভাতা ও বোনাসের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের এ ঘটনায় পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অবরোধে মহাসড়কটিতে যানজটের সৃষ্টি হয়।পুলিশ ও আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা জানান, দুই মাস ধরে স্থানীয় রুহুল সোয়েটার কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। বোনাসও দেওয়া হয়নি। বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ সেপ্টেম্বর কারখানা কর্তৃপক্ষ আগস্ট মাসের আংশিক বেতন-ভাতা পরিশোধ করেন। ২৯ সেপ্টেম্বর শ্রমিকদের বাকি পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। সেদিনও বেতন-বোনাস না দেওয়ায় কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করেন শ্রমিকেরা। পরে সব পাওনা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে পুলিশের সহায়তায় মুক্ত হন তাঁরা। গতকাল বৃহস্পতিবার পাওনা পরিশোধের তারিখ ছিল। শ্রমিকেরা গতকাল কারখানায় এসে বেতন-ভাতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু এদিন কারখানায় কোনো কর্মকর্তাই আসেননি। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও কর্তৃপক্ষের কাউকে না পেয়ে শ্রমিকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁরা কারখানাসংলগ্ন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে।জয়দেবপুর থানার ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক মোবারক হোসেন বলেন, কয়েক শ শ্রমিক বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পৌনে ছয়টার দিকে মহাসড়কে আবার যান চলাচল শুরু হয়।গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সামসুর রহমান বলেন, ‘এখানে শুধু এ কারখানাটিতেই শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিল। আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’
98,436
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৩৯
২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৪০
বিনোদন,সংগীত
0
১০ নভেম্বর থেকে ‘ঢাকা ফোক ফেস্ট’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1008267
ঢাকায় আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক লোকসংগীতের উৎসব ‘ঢাকা ফোক ফেস্ট-২০১৬’। আগামী ১০ থেকে ১২ নভেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়বারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে সান ইভেন্টস। বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের লোকসংগীতের শতাধিক শিল্পী আন্তর্জাতিক এ উৎসবে যোগ দেবেন। আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য জানাবেন আয়োজকেরা।গতবারের মতো এবারও বিনা মূল্যে নিবন্ধনের মাধ্যমে উৎসব উপভোগ করতে পারবেন যে কেউ। উৎসবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে গান। উৎসবের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান মিডিয়াকমের গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু জানিয়েছেন, কোন কোন শিল্পী এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কিন্তু গতবারের মতো এবারও থাকবে চমক।অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচার করবে মাছরাঙা টেলিভিশন।
259,851
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ জুন ২০১৭, ১৫:১৫
০২ জুন ২০১৭, ১৬:০১
রাজনীতি
null
পকেট ভারী করতে বাজেটে বড় প্রকল্প: ফখরুল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1202581
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য সরকার বাজেটে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, প্রস্তাবিত বাজেট মানুষের কোনো কল্যাণ আনতে পারবে না। এটি সাধারণ মানুষের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, বাজেটে মানুষকে করের জালে বেঁধে ফেলা হয়েছে।বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার আয়োজিত এক বই প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বাজেটকে জনগণের জন্য একটি বিশাল বোঝা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের পত্রিকাগুলোতে বিভিন্ন কার্টুন দিয়ে জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, বাজেটে ৩০টি মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। সেখানে মেগা কস্টিং (বিশাল খরচ) হবে। সে মেগা কস্টিং থেকে মেগা দুর্নীতি হবে। সরকারদলীয় লোকদের নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য এ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
320,955
প্রথম আলো ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
২৭ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৪৬
২৭ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৪৯
এশিয়া
0
বিধ্বস্ত কাঠমান্ডু, নিহত ২৫০০
http://www.prothom-alo.com/international/article/513916
নেপালে গত শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডু। এতে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিকে দুর্যোগ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছে নেপাল। গতকাল রোববার নেপালে আবার নতুন করে ভূমিকম্প হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ওই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। খবর এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্সের।নেপালের ন্যাশনাল ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার জানায়, নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৬ হাজার ২৩৯ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য একটি সূত্র বলছে, শুধু রাজধানীতে সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।নেপালের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মিনেন্দ্র রিজাল ভারতীয় টেলিভিশনে বলেন, আমাদের দেশ একটি দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমাদের অনেক সহায়তা ও ত্রাণ প্রয়োজন।উদ্ধার তৎপরতা: শনিবারের ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুর অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ভূমিকম্পের পরপর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। ইট, সিমেন্ট, কাঠের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে হতাহতদের বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। প্রায় রাতভর উদ্ধার অভিযান চলে। তবে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় উদ্ধার অভিযানে সময় লাগছে। কাঠমান্ডুর অধিকাংশ এলাকা শনিবার দিবাগত রাত ছিল বিদ্যুৎহীন। মুঠোফোন নেটওয়ার্কও বিপর্যস্ত হয়েছে। সড়কে ধ্বংসাবশেষ থাকায় ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় কিছু এলাকায় পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। আবার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নিয়ে যেতে পারছেন না তাঁরা।কাঠমান্ডুর একটি এলাকায় উদ্ধার অভিযানে থাকা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা সন্তোষ নেপাল জানান, তাঁরা তিনতলা একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপে সুড়ঙ্গ করে হতাহতদের সরিয়ে নিচ্ছেন। এ কাজের জন্য বুলডোজার প্রয়োজন। কিন্তু সড়কে ধ্বংসাবশেষ থাকা ও সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বুলডোজার নেওয়া যাচ্ছে না।বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়িহারা শত শত মানুষ রাতে খোলা মাঠে রাত কাটায়। তুধিখেল জেলার একটি মাঠে শত শত মানুষের সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা নেহা শ্রেষ্ঠা (৩৪)। তিনি বলেন, ‘সারা রাত ঘুমাইনি। কীভাবে ঘুমাব? রাতে বারবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আমরা শুধু প্রার্থনা করছি, কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আর বাড়িতে ফিরতে পারব।’হাসপাতালগুলোতে হতাহত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী হেলেন এসজোকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত, হাসপাতালে রোগী বা লাশ রাখার জায়গা হচ্ছে না।’আন্তর্জাতিক সহায়তা: যুক্তরাষ্ট্র একটি বিশেষ দল পাঠাচ্ছে। প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ ডলার ছাড় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসএইড। প্রতিবেশী ভারত বেশ কিছু হেলিকপ্টার, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল এবং ৪০টি শক্তিশালী উদ্ধারকর্মী দল ও ডগ স্কোয়াড পাঠিয়েছে। চীন ডগ স্কোয়াডসহ উদ্ধারকর্মীদের ৬২টি দল পাঠিয়েছে। পাকিস্তান চারটি এয়ারক্রাফট, ৩০টি হাসপাতাল শয্যা, সেনাবাহিনীর চিকিৎসক দল, খাবার, তাঁবু ও কম্বল পাঠাচ্ছে।আবার ভূমিকম্প: নেপালে গতকালনতুন করে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৪০ কিলোমিটার পূর্বে। শনিবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পরদিনই এই ভূমিকম্পে দেশটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দ্রুত বাড়িঘর ছেড়ে আগের দিনের ধ্বংসস্তূপ এড়িয়ে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। তবে গতকালের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশেও অনুভূত হয়। বাসস জানায়, বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ৯ মিনিট ৮ সেকেন্ডে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁও ভূপর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৬১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত লোকজন ঘরবাড়ি, অফিস ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।ঢাকার বাইরের চিত্র: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী বড়াইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তবকপুর ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে কমপক্ষে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়। একইভাবে নারায়ণগঞ্জে বরফকল এলাকায় একটি পোশাক কারখানার ২০ শ্রমিক আহত হন। শেরপুর সদর উপজেলার বেতমারী গ্রামের হায়দার আলী (৭০) নামের এক ব্যক্তি আতঙ্কে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। রংপুরে ভূমিকম্পের সময় শৌচাগারের কুয়া খনন করতে গিয়ে মাটিচাপা পড়ে আখতারুল ইসলাম (৩০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাবনার ঈশ্বরদীতে আতঙ্কে ৬০ জন নারী শ্রমিকসহ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ৪২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার স্টেশন সড়কের নতুন একটি দশতলা ভবনের একাধিক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়ও বেশ কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি মহল্লায় ১০তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দোতলা ভবনের সব কটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দেওয়ার পর বিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি কক্ষে ও একমাত্র ছাত্রী হল ‘দোলনচাঁপার’ পঞ্চম তলার বারান্দায় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ ও তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।ত্রাণ ও চিকিৎসা দল পাঠাল বাংলাদেশ: নেপালের জনগণকে সহায়তার জন্য ছয়টি চিকিৎসা দলসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমানে করে মোট ৩৪ জনের একটি দল কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছে। খবর বাসস ও ইউএনবির।
134,532
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৭
১০ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৮
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,অপরাধ
0
বেড়াতে এসে ‘ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/735840
সুনামগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম নগরে বেড়াতে এসে হতদরিদ্র পরিবারের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার মেয়েটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।ক্রাইসিস সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাফরুহা নিগার গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, একটি মেয়ে ভর্তি হয়েছে। সুনামগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে বেড়াতে এসেছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
191,131
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৫ জুলাই ২০১৪, ০২:৩০
০৫ জুলাই ২০১৪, ০৫:২৩
খেলার শেষে,আন্তর্জাতিক ফুটবল,বিশ্বকাপ ফুটবল
null
সেমিফাইনালে ব্রাজিল
http://www.prothom-alo.com/sports/article/259180
চিলির পর কলম্বিয়া। নকআউট পর্বে ব্রাজিলের দুটি ম্যাচই ছিল শেষ পর্যন্ত নাটকীয়তায় ভরা। তবে আগের ম্যাচের মতো এবারও সেই নাটকের শেষ হাসিটা থাকল ব্রাজিলিয়ানদের মুখে। থিয়াগো সিলভা আর ডেভিড লুইজের গোলে কলম্বিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল ব্রাজিল।ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় সেলেসাওরা। নেইমারের কর্নার কিকে লুইজ মাথা ছোঁয়াতে না পারলেও অধিনায়ক সিলভা বাঁ পায়ের আলতো টোকায় বল পাঠিয়ে দেন জালে। স্কলারির ছাত্ররা এদিন ছিলেন আগের সবগুলো ম্যাচের চেয়ে উজ্জ্বল। ব্রাজিলকেও তাই বিশ্বকাপের প্রথমবারের মতো দেখা গেল প্রায় চেনা রূপে। সেই তুলনায় কলম্বিয়া ছিল আগের ম্যাচগুলোর চেয়ে ম্লান। ফলাফল, ৬৯ মিনিটে দর্শনীয় এক ফ্রি-কিক থেকে ব্যবধান বাড়ান লুইজ। পিএসজি ডিফেন্ডারের ডান পায়ের বুলেট শট ফেরানোর সাধ্য ছিল না গোলরক্ষক ডেভিড অসপিনার।৭৮ মিনিটে একটা গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে কলম্বিয়া। বদলি হিসেবে নামা কার্লোস বাক্কাকে নিজেদের বক্সের ভেতর ফেলে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক হুলিও সিজার। সুবাদে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন হামেস রদ্রিগেজ। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও পাঁচ ম্যাচে ছয় গোল করে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসি-নেইমারের চেয়ে আপাতত এগিয়ে রইলেন কলম্বিয়ান প্লে-মেকার।মঙ্গলবার সেমিফাইনালে ব্রাজিল খেলবে জার্মানির বিপক্ষে। তবে দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় ওই ম্যাচে খেলতে পারবেন না অধিনায়ক সিলভা।
75,043
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ১০:৫৫
৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:১০
যুক্তরাষ্ট্র
null
কানাডায় মসজিদে গুলি, নিহত ৫
http://www.prothom-alo.com/international/article/1070457
কানাডার কুইবেক সিটির একটি মসজিদে নামাজের সময় বন্দুকধারীদের গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে কুইবেক সিটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে এই গুলির ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইয়ানগুই সাংবাদিকদের জানান, গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মোহাম্মদ ইয়ানগুই বলেন, এখানে কেন এমন হামলা হলো? এটা বর্বরতা।এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, কুইবেক সিটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ভেতরে থাকা অন্তত ৪০ জন মানুষের ওপর জনা তিনেক বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। গুলির ঘটনার পর মসজিদ এলাকা ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ।এক টুইটার বার্তায় কুইবেক সিটির মসজিদে গুলির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ জানায়, গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।কুইবেক পুলিশের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগী অনেক। প্রাণহানিও আছে।মসজিদে গুলিতে কতজন আহত ও নিহত হয়েছেন, তার সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়েছে।আরও পড়ুন: কানাডার কুইবেকে মসজিদে গুলিতে নিহত ৫
288,354
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২২:৪০
১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২২:৪৯
ক্রিকেট,বিপিএল টি২০
null
ক্যাচ ছাড়লেও ম্যাচ ছাড়েননি মাহমুদউল্লাহ!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1367831
ফিল্ডিংয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একাই ছেড়েছেন তিন-তিনটি ক্যাচ! ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য মিটিয়েছেন এই ব্যর্থতার খেদ। চাপের মুহূর্তে তাঁর ব্যাটে ভর করে চিটাগং ভাইকিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা।মাহমুদউল্লাহ ছাড়া ক্যাচ ছেড়েছেন তাঁর সতীর্থরাও। সুযোগের ফায়দা তুলতে কার্পণ্য করেনি চিটাগং। এনামুল হক বিজয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১৬০ রান তোলে লুক রনকির দল। চিটাগংয়ের নিয়মিত অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক এ ম্যাচে দলে ছিলেন না। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মাইকেল কিলিঙ্গারকে হারায় খুলনা। ৭ ওভারের মধ্য দলীয় ৬০ রানে কিলিঙ্গার, ধীমান ঘোষ ও রাইলি রুশোকে হারিয়ে বেশ চাপে ছিল মাহমুদউল্লাহর দল। খুলনার এই ৬০ রানে রুশোর একার অবদান ৪৯।ষষ্ঠ ওভারে ধীমান আউট হওয়ার পর রুশোর সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারেই রুশোর উইকেট ছত্রখান করে দেন চিটাগংয়ের পেসার আল-আমিন। ৭ ওভার শেষে খুলনার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৬১। অর্থাৎ ৭৮ বলে খুলনা তখনো জয় থেকে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানের দূরত্বে পিছিয়ে। এখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও অপর প্রান্তে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ৯ রান করে চিটাগংয়ের লেগি তানভীর হায়দারের শিকার হন তিনি।পঞ্চম উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে দলের হাল ধরেন আরিফুল হক। ৭০ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ-আরিফুল। এ দুজন ব্যাটিংয়ের সময় ধীরে ধীরে কমে আসে বল আর রানের ব্যবধান। ১৮তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে আরিফুল হক যখন আউট হন, জয় থেকে তখন ১৫ বলে মাত্র ১২ রানের দূরত্বে পিছিয়ে খুলনা। তাসকিনের সেই ওভারেই শেষ দুই বলে এক চার এবং এক ছক্কায় ১০ রান নিয়ে খুলনাকে জয় দেখিয়ে দেন কার্লোস ব্রাফেট। পরের ওভারে বাউন্ডারি মেরে জয় তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ।১০ বল হাতে রেখে খুলনার তুলে নেওয়া এই জয়ের কান্ডারি মূলত অধিনায়কের ৩৫ বলে ৪৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। ১ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান তিনি। দলকে জিতিয়েই ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ ছাড়ার খেদ মিটিয়েছেন খুলনা অধিনায়ক।এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ক্যাচ ছাড়ার মহড়া দেয় খুলনার ফিল্ডাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই দুর্দান্ত চেষ্টা চালিয়েও রনকিকে তালুবন্দী করতে পারেননি রাইলি রুশো। ১১তম ওভারে সৌম্যর সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে তাঁর মুঠো ফসকে যায় বল। এক ওভার পরই সৌম্যর আরও একটি ক্যাচ মিস করেন মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া ১৮তম ওভারে আবু জায়েদের প্রথম বলে ক্লিঙ্গার ক্যাচ মিসের পর চতুর্থ বলে ফন জিলকে ‘জীবন’ উপহার দেন সেই মাহমুদউল্লাহই।কিন্তু এমন ম্যাচেই আবার ব্যাট হাতে দলকে জেতাতে পারলে ক্যাচ ছাড়া কে মনে রাখে!
344,891
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৫৪
১৫ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৫৫
রাজধানীর চারপাশ​​,আইন ও বিচার,মানিকগঞ্জ
0
মানিকগঞ্জে ইলিশ ধরায় ১৭ জেলের কারাদণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1000293
মানিকগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে পৃথক অভিযানে ১৭ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই জেলেকে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।পুলিশ ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মা-ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত মানিকগঞ্জসহ ২৭ জেলায় ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময়ে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্য করে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় যমুনা ও হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরা চলছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা হরিরামপুরের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ওই ১৭ জেলেকে আটক করেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১০ হাজার মিটার জাল ও ৭৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। এরপর তাঁদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে হাজির করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও রুবিনা ফেরদৌসী ১৭ জেলের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। জব্দ করা জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ওই জেলেদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা ইলিশগুলো স্থানীয় বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শিবালয়ের যমুনা নদী থেকে ইলিশ ধরার সময় দুই জেলেকে আটক করেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এরপর তাঁদের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
256,042
শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
opinion
মতামত
১০ মে ২০১৯, ০৮:২৮
১০ মে ২০১৯, ০৯:১২
ধর্ম,শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
null
প্রাণবন্ত ইফতার আনন্দময় সুন্নত
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1593070
মুমিনগণ ইবাদতে আনন্দ লাভ করেন। মহানবী (সা.) বলেছেন: রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। একটি ইফতারের সময়, অপরটি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। সূর্যাস্তের পর রোজাদার প্রথম যে পানাহারের মাধ্যমে রোজা ছাড়ে, তাকে ইফতার বলে। ইফতার অর্থ ভাঙা বা উপবাস ভঞ্জন করা। ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উত্তম। ইফতারের আগেই ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা এবং যথাসময়ে ইফতার করা সুন্নত। ইফতার সামনে নিয়ে যে দোয়া করা হয়, সেই দোয়া আল্লাহ কবুল করেন।হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রোজাদারের দোয়া আল্লাহর নিকট এতই আকর্ষণীয় যে আল্লাহ তাআলা রমাদানের সময় ফেরেশতাদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন, ‘রমাদানে তোমাদের পূর্বের দায়িত্ব মওকুফ করা হলো এবং নতুন দায়িত্বের আদেশ করা হলো, তা হলো আমার রোজাদার বান্দাগণ যখন কোনো দোয়া মোনাজাত করবে, তখন তোমরা আমিন! আমিন! বলতে থাকবে।’রমাদানের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতসমূহের অন্যতম হলো ইফতার। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন: আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয়, যারা দ্রুত ইফতার করে। (তিরমিজি, আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬০, পৃষ্ঠা: ১৩১)।প্রিয় নবীজি (সা.) বলেন: যখন রাত সেদিক থেকে ঘনিয়ে আসে ও দিন এদিক থেকে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখন রোজাদার ইফতার করবে। (বুখারি, সওম অধ্যায়, হাদিস: ১৮৩০)। হাদিসে আরও আছে: সে পর্যন্ত দ্বীন ইসলাম বিজয়ী থাকবে, যে পর্যন্ত মানুষ শিগগির ইফতার করবে। কেননা ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা বিলম্বে ইফতার করত। ইফতার শুধু খাদ্য গ্রহণের নাম নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হজরত সাহল ইবনে সাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যত দিন লোকেরা ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, তত দিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে। (বুখারি, সওম অধ্যায়, হাদিস: ১৮৩৩)।মিষ্টান্ন, ফল, বিশেষত খেজুর দ্বারা ইফতার করা সুন্নত; যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে যেকোনো হালাল খাদ্যবস্তু দ্বারা, এমনকি শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দ্বারা; নিশ্চয় পানি পবিত্র। (তিরমিজি ও আবু দাউদ; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২, পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২)।বিশিষ্ট সাহাবি হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াব কম করা হবে না। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন: পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি খেজুর অথবা এক ঢোঁক পানি দ্বারাও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবে। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবে, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার পূর্ব পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।না খেয়ে থাকার নাম রোজা। ক্ষুধার্তদের জঠর জ্বালা অনুভব করা রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য। তাই রমাদানে বাহারি ইফতারের চেয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে ইফতার করা শ্রেয়। নিজেদের ইফতারের পাশাপাশি পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, নিকটজন, গরিব–মিসকিন, দরিদ্র–অসহায়দের ইফতারের বিষয়ে যত্নবান ও সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।ইফতার মাহফিল ও ইফতার পার্টি সওয়াবের উদ্দেশ্য ভিন্ন হওয়া অনুচিত। ইফতার অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হওয়া উচিত: এক, ইফতার করা ও করানোর মাধ্যমে সওয়াব লাভ করা; দুই, দ্বীনি তালিম; তিন, ইসলামি তাহজিব তমুদ্দুন ও সংস্কৃতির বিকাশ; চার, গরিবদের আর্থিক ও সামাজিক সহযোগিতা করা। বিশুদ্ধ নিয়ত ছাড়া কোনো ইবাদতই কবুল হয় না। হালাল খাদ্য ও হালাল উপার্জন রোজা, নামাজ ও যাবতীয় ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাই ইফতার ও সাহ্‌রিতে বৈধ উপার্জনের হালাল খাবার চাই।মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী: বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব ও আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজমের সহকারী অধ্যাপকsmusmangonee@gmail.com
401,432
-1
opinion
মতামত
২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:০৬
২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:০৬
সম্পাদকীয়:
null
দ্বন্দ্ব ভুলে সম্প্রীতির ঘোষণা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1576596
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পশতুন ভাষাভাষী উপজাতিদের মধ্যে গোষ্ঠীবিবাদের ধারা বহু পুরোনো। এই ধারা এতটাই প্রাচীন যে এক গোষ্ঠীর লোক অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে কী নিয়ে বছরের পর বছর দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে, তা তারা নিজেরাও বলতে পারে না। হয়তো তিন শ বা চার শ বছর আগে তাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে কোনো কিছু নিয়ে সংঘর্ষ বেধেছিল। সেই বিবাদ আর মেটেনি। সেই শত্রুতা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে পরের প্রজন্মগুলো। সেখানে এক গোষ্ঠীর লোক আরেক গোষ্ঠীর কারও গায়ে হাত তুললে বা অপমান করলে পুরো গোষ্ঠী প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষে এমন সব নিরপরাধ শিশু এবং নারীও নিহত হয়, যারা মৃত্যুর আগে নিজেরাও বুঝতে পারে না কেন তাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে।আমাদের দেশে অত প্রকট আকারে না হলেও এই ধরনের ‘ফ্যামিলি ফিউড’ এখনো যে টিকে আছে, তা দেখা গেল নড়াইলের লোহাগড়ার পারমল্লিকপুর গ্রামে। এই গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে প্রায় এক শ বছর ধরে বংশপরম্পরায় দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তুচ্ছ ঘটনায় হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, লুটপাট হচ্ছিল। খুনের বদলে খুন হচ্ছিল। সর্বশেষ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি হয়ে ওই গ্রামের হাজারো মানুষ বাড়িছাড়া হয়েছে মাসের পর মাস। এ সুযোগে তাদের ঘরের মালামাল, ফসল, এমনকি বসতঘরের টিন ও ইট লুট করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বাড়িছাড়া হওয়ায় তাদের পড়াশোনা বন্ধ থেকেছে। এ অবস্থার অবসানে জেলা পুলিশ প্রশাসন যে ভূমিকা রেখেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য।জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দুই পক্ষকে গত শনিবার ডেকে গ্রামের খেলার মাঠে একটি শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছেন। ‘সম্প্রীতির বন্ধন’ নামের সেই সমাবেশে দ্বন্দ্ব ভুলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে বিবদমান দুই পক্ষ। ৯ মাস ধরে বাড়িছাড়া প্রায় দেড় শ পরিবার নিজ বাড়িতে ফিরতে পেরেছে। সমাবেশে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা দুই পক্ষকে দিয়ে আর সংঘাতে না জড়ানোর অঙ্গীকার করিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে প্রায় এক শ বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান হয়েছে।নড়াইলের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এভাবে সামাজিক সম্প্রীতির উদ্যোগ নেওয়ার মধ্যে একটি মহান বার্তা পাওয়া যায়। পুলিশ শুধু আসামি ধরবে এবং আইন প্রয়োগের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমন করবে—এই গতানুগতিক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। আইনের ধারা, বিধি ইত্যাদিতে আটকে না থেকে প্রশাসন যে সামাজিকভাবে বড় বড় সংকটের সমাধান করতে পারে, নড়াইল পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন প্রমাণ করেছে। তাদের এই উদ্যোগ বাকি জেলা প্রশাসনের সামনে একটি মহান দৃষ্টান্ত হতে পারে। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে দেশের অন্যান্য জায়গার বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যেও শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
388,636
ইকবাল হোসাইন চৌধুরী কান (ফ্রান্স) থেকে
entertainment
বিনোদন
১৭ মে ২০১৪, ০২:৩১
১৭ মে ২০১৪, ০২:৩১
চলচ্চিত্র
null
‘বাংলাদেশের কথা শুনেছি’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/218242
সোনালি চুল, সবুজাভ চোখে কেমন ভেজা ভেজা চাহনি। হলিউড মোহিনী কেট ব্ল্যানচেট তামাম দুনিয়ার সিনেমাপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছিলেন সেই কবে! সকালে প্রেস অফিসে ঢুকতেই বুঝি চারদিকে চাপা উত্তেজনা।৬৭তম কান উৎসবে একাধিকবারের অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেট আসছেন! শুনেই মনের চোখে কেট ব্ল্যানচেটের অভিনীত সবগুলো ছবির টুকরো টুকরো দৃশ্য ভেসে উঠল। এলিজাবেথ থেকে লর্ড অব দ্য রিংস । দি অ্যাভিয়েটর অথবা বাবেল থেকে দ্য গুড জার্মান কিংবা ইন্ডিয়ানা জোন্স। সিনেমা-টিভিতে কত রূপে, কত ঢঙেই না দেখেছি তাঁকে। এই তো কানে আসার দুই দিন আগেই দেখছিলাম উডি অ্যালেন পরিচালিত তাঁর ছবি ব্লু জেসমিন। সত্যি সত্যি ‘তারে আজ চোখে দেখা’র সুযোগ আসছে! কিন্তু সেই সুযোগ পাওয়ার আগে ‘সাংবাদিকদের বিশ্বযুদ্ধে’ জেতা চাই। মানে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে উড়ে আসা দুঁদে সাংবাদিকদের ডিঙিয়ে সম্মেলনকক্ষে জায়গা পাওয়া চাই। এখন বিলক্ষণ জানি, পেশাদারি এই প্রতিযোগিতায় কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নন। আপনি ক্যামেরা তুলেছেন, আরেকজন নির্বিকার এসে ঠেলা-গুঁতো দিয়ে সামনে চলে যাবে। বিশাল ক্যামেরা এমন উঁচু করে ধরবে, আপনি স্রেফ নাই হয়ে যাবেন। তবে এবারে আমিও আটঘাট বেঁধে তৈরি। এক ঘণ্টা আগে ‘কিউ’তে জায়গা নিয়ে ফেলেছি। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা করছে। কার্পেটটা বেশ সাফ-সুতরো, সেখানে গ্যাঁট হয়ে বসে পড়েছি। যা থাকে কপালে! তখনো জানি না শুধু চকিতে দেখা নয়, আলাপ করার দুর্লভ সুযোগও মিলে যাবে বিশ্ব চলচ্চিত্রের এই মহাতারকার সঙ্গে। প্রশ্নোত্তর পর্বে মাইক্রোফোন লুফে নিয়ে আর হাতছাড়া করলাম না। পেছন থেকে অন্য সাংবাদিকদের হই-হল্লার মধ্যেই কেট ব্ল্যানচেটের ত্বরিত সাক্ষাৎকার শুরু-হ্যালো, আমি বাংলাদেশের প্রথম আলো পত্রিকা থেকে এসেছি। আপনি কি জানেন বাংলাদেশে প্রচুর লোক আপনার ছবি দেখে? —থ্যাঙ্ক ইউ। বাংলাদেশের কথা আমি শুনেছি। কিন্তু যাওয়া হয়নি। কানে আসার দুই দিন আগে আপনার ব্লু জেসমিন (উডি অ্যালেন পরিচালিত) ছবিটা দেখছিলাম। এখানে দেখছি পুরোপুরি অন্য রকম একটা ছবিতে আপনি কণ্ঠ দিয়েছেন (হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন-২)। আপনি কি আপনার বাচ্চাদের কথা ভেবে ছবিটা করেছেন? —এই ছবিতে আমার চরিত্রটি একজন মায়ের। আমি বাস্তবেও একজন মা। পৃথিবীর সব মা-ই একই রকম বলে আমি মনে করি। হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন খুব আবেগময় একিট ছবি। ছবিটি দেখে আমরা অনেকবার কেঁদেছি। আমার মনে হয়, সব বাচ্চা এটা খুব পছন্দ করবে। এলিজাবেথ, এ গুড জার্মান বা বাবেল-এর মতো সাড়া জাগানো সিরিয়াস ঘরানার ছবি আপনি করেছেন। আবার লর্ড অব দ্য রিংস, রবিন হুড বা হবিট-এর মতো ছবিও। আপনার অভিনয়-বৈচিত্র্য দেখার মতো। —আমি মনে করি, সব অভিনেত্রীরই এটা হওয়া উচিত। আমি প্রতিবারই নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। নিজেকে নানাভাবে দেখাটা আনন্দের ব্যাপার। আপনার প্রিয় ঘরানার সিনেমা কোনগুলো? —হাসি অথবা কান্নায় মেশানো ছবি আমার ভালো লাগে। আবেগপূর্ণ ছবি আমার পছন্দ। যে ছবি দর্শককে কাঁদায় বা হাসায় সে রকম ছবিই আমি করতে চাই। সত্যি সত্যি ড্রাগনের পিঠে চড়াটা কেমন হবে বলে মনে হয়? —আমার মনে হয় ছবির পরিচালক (পাশে পরিচালকের দিকে তাকিয়ে হেসে) সেটা ভালো বলতে পারবেন। আমি ছবিটা নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত এটা শুধু এটুকু বলতে পারি। আরও কত প্রশ্ন উথলে উঠেছিল মনে। কিন্তু পেছন থেকে ততক্ষণে বাকি সাংবাদিকেরা ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করেছেন। একজন এত প্রশ্ন করলে চলবে না। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকও বারবার ইশারা করছেন আমাকে মাইক্রোফোন ছাড়তে। যাক দিলাম ছেড়ে! মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। এর চেয়ে বেশি কী?
73,867
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩২
০৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩২
-1
0
খালেদ মোশাররফের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/67336
আজ ৭ নভেম্বর কে ফোর্সের অধিনায়ক সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তমের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।এ উপলক্ষে আজ বেলা সাড়ে তিনটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম।আলোচনা করবেন কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক এমপি ও মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন খালেদ মোশাররফের জ্যেষ্ঠ কন্যা মাহজাবীন খালেদ মোশাররফ বেবী। অনুষ্ঠানে তাঁর শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।
26,147
-1
international
আন্তর্জাতিক
২৩ আগস্ট ২০১৩, ০১:২৮
২৩ আগস্ট ২০১৩, ০১:৩৪
আরব বিশ্ব
0
হেলিকপ্টারে বাইরে এলেন কারামুক্ত মোবারক
http://www.prothom-alo.com/international/article/41299
মিসরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারককে গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে হেলিকপ্টারে করে বাইরে নেওয়া হয়। তবে এখন থেকে তাঁকে গৃহবন্দী রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।মিসরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, চলমান জরুরি অবস্থার কারণে সরকার মোবারককে গৃহবন্দীরাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদালতের নির্দেশে মোবারককে কায়রোর তোরা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।মিসরের এ মুহূর্তের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে মোবারককে মুক্তি দেওয়ার কারণে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন। মোবারকের মুক্তিকে অনেকে আরব বসন্তের পর মিসরে যেসব পরিবর্তন হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেতা পাল্টে দেওয়ার ইঙ্গিত হিসাবে মনে করছেন।আদালত গত বুধবার বলেন, তিনটি মামলায় মোবারকের বিচার স্থগিত রেখে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে।২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত ৮৫ বছর বয়সী হোসনি মোবারককে কোথায় গৃহবন্দী রাখা হবে, তা জানানো হয়নি। সিনাই উপদ্বীপের শারম আল-শেখে অবস্থিত বাড়ি অথবা কোনো সামরিক হাসপাতালে তাঁকে অন্তরীণ রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্নীতি ও ২০১১ সালে গণবিক্ষোভ চলাকালে প্রায় ৮৫০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোবারকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে গত বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে বিচারে পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ এনে তাঁর পুনর্বিচারের আদেশ দেওয়া হয়। এএফপি ও রয়টার্স।
11,298
কলকাতা প্রতিনিধি
entertainment
বিনোদন
১০ মে ২০১৭, ১৭:৩৭
১০ মে ২০১৭, ১৭:৪০
-1
0
বাবুল সুপ্রিয় বাবা হচ্ছেন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1175811
সংগীত তারকা ও ভারতের কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বাবা হতে যাচ্ছেন।বাবুল সুপ্রিয়র স্ত্রী জেট এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রু রচনা শর্মা। চিকিৎসক ইতিমধ্যেই রচনা-বাবুল দম্পতির বাবা-মা হতে যাওয়ার সুখবরটি জানিয়েছেন।বাবুল সুপ্রিয়র একটি মেয়ে আছে। প্রথম স্ত্রী রিয়া ও বাবুল সুপ্রিয়র ঘরে ওই সন্তানের নাম শর্মিলী। ২০১৫ সালের অক্টোবরে প্রথম স্ত্রী রিয়ার সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ করেন বাবুল। এরপর গত বছরের ৯ আগস্ট রচনা শর্মাকে বিয়ে করেন তিনি।
316,520
-1
international
আন্তর্জাতিক
০৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩০
০৮ আগস্ট ২০১৫, ০২:৪৯
আরব বিশ্ব
0
কাবুল পুলিশ একাডেমিতে হামলায় ২০ জন নিহত
http://www.prothom-alo.com/international/article/596827
আফগানিস্তানের কাবুল পুলিশ একাডেমির কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০ প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় হামলাকারী ব্যক্তি পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০ নয়, ২৫ প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এএফপি।
158,523
-1
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৭ মার্চ ২০১৭, ০১:০৫
০৭ মার্চ ২০১৭, ০১:০৭
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর
0
শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ স্টার্টআপ কাপ ২০১৭
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1099741
বেটার স্টোরিজ লিমিটেডের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো দেশব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিযোগিতা ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ কাপ ২০১৭’। এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে নেদারল্যান্ডস সরকার ও ভারতীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আবিষ্কার। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারিটা কুলেনারা, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, বাংলাদেশ স্টার্টআপ কাপের প্রকল্প পরিচালক সেলিমা হোসাইন ও উপপ্রকল্প পরিচালক মুহাইমিন খান।বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে আয়োজিত হয় স্টার্টআপ কাপ। এর অংশ হিসেবে স্থানীয় নতুন উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হবে বাংলাদেশ স্টার্টআপ কাপ ২০১৭। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ স্টার্টআপ কাপ ২০১৭ একটি ইকোসিস্টেম তৈরি বিষয়ক উদ্যোগ। এটি একটি বছরব্যাপী ব্যবসায়িক মডেল তৈরির প্রতিযোগিতা, যা দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষায়িত একটি বাস বাংলাদেশের ৭টি বিভাগীয় শহরে ভ্রমণের মাধ্যমে স্টার্টআপ সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করবে এবং উদ্যোক্তাদের স্থানীয় স্টার্টআপ ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও বিকাশে সহায়তা করবে।বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে সাত দিন করে ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য কর্মশালা, নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে।আগ্রহী ব্যক্তিরা ২৫ মার্চের মধ্যে bangladesh.startupcup.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।বিজ্ঞপ্তি
300,372
মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ জুলাই ২০১৫, ০১:৩২
৩০ জুলাই ২০১৫, ০১:৩২
মহেশখালী,কক্সবাজার,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা
0
নৌকাডুবিতে দুই জেলে নিহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/588421
ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া চ্যানেলে নৌকাডুবিতে গিয়াস উদ্দিন ওরফে কালু (৩৫) ও মোহাম্মদ একরাম (২৫) নামের দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা শফিউল আলম জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে জেলে গিয়াস ও একরাম কাঁকড়া ধরার জন্য তাজিয়াকাটা থেকে নৌকাযোগে সোনাদিয়া যাচ্ছিলেন। পথে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়ার কবলে সোনাদিয়া চ্যানেলে তাঁদের নৌকাটি ডুবে যায়। বেলা একটার দিকে দুই জেলের লাশ সাগরে ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করেন। নিহত গিয়াসের বাড়ি কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটায় এবং একরামের বাড়ি মহেশখালী ইউনিয়নের মগরিয়াকাটায়।মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের বলেন, নিহত দুই জেলের পরিবারকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।স্থানীয় সাংসদ আশেকুল্লাহ রফিক বিকেলে নিহত দুই পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন।এ ছাড়া মাছ ধরতে গিয়ে গতকাল সকালে বাকখালী চ্যানেলে পড়ে আরও এক জেলে নিহত হয়েছেন। নিহত আবদুল করিমের (৩০) বাড়ি উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে। কালারমারছড়া ইউপি সদস্য নাজেম উদ্দিন জেলে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এদিকে ভারী বর্ষণে ঘরের মাটির দেয়াল ধসে গেলে তার নিচে চাপা পড়ে হুমায়রা বেগম (৫) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।  গতকাল সকালে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মহেশখালীর ইউএনও আনোয়ারুল নাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
156,095