content
stringlengths 1
63.8k
⌀ |
---|
তারা ঝলমল ভুবনের মানুষেরা সব সময় ব্যস্ত থাকেন নাটক-চলচ্চিত্রের কাজে। তাঁদের চিন্তাজগতে কত রঙের আলো খেলা করে? জেনে নিন তারকাদের নিজের লেখায়...আজ যে ঘুঁটেকুড়ানি কাল সে রাজরানি। আজ যে রাজা কাল সে পথের ফকির। রূপকথার গল্প নয় শুধু, জীবনেরও। প্রথম আলোর গত ২ জুনে ছাপা দুটি সংবাদ বিনোদন জগতের সুয়োরানি আর দুয়োরানির কথা মনে করিয়ে দিল। এরা সিনেমা আর টেলিভিশন। বিনোদন পাতায় ছিল নাটকের শিল্পী, কলাকুশলী ও প্রযোজকদের এক সম্মিলনের খবর। প্রতিষ্ঠানের কাছে নানান দাবি। নাটক দিন দিন তার অনন্যতা খুইয়ে দর্শক হারাচ্ছে, নাটকের মান নিম্নগামী, বাজেটস্বল্পতা ইত্যাদি ইত্যাদি। সবকিছুর দাম বাড়ছে, কেবল টিভি প্রোডাকশনের বাজেট বাড়ছে না বরং কমছে। বিষয়টা কষ্টের, বিষয়টা হতাশার। প্রায় একযুগের একজন নির্মাণকর্মী হিসেবে ব্যথাতুর মনে এই সংবাদ পাঠ করি। আর ভাবি, প্রায় একই ধরনের এতগুলো চ্যানেলের কি আদৌ দরকার ছিল? প্রিয় শিল্পীকে কেন একই ভূমিকায় বারবার দেখতে হয়? পরিচালককে কেন একটাই গল্প বলতে হয় চ্যানেলে-চ্যানেলে! বিনোদন-আলোয় ভুবন ভরিয়ে দেওয়ার বদলে কাজ ফেলে কেন এই সভা করা? এসবের উত্তর খোঁজার অবকাশ আমাদের হবে তো? সম্মিলনের সংগত দাবির প্রতি সমর্থনের হাত তুলেই বলছি, এই পরিণতির সঙ্গে নিজের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকাটুকু খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। টেলিভিশনের একটি ভিশন ছিল। সায়মন ড্রিং, ফরহাদ মাহমুদের মতো কিছু ভিশনারি মানুষের কল্যাণে একটি প্রজন্ম শিল্পমনস্ক নাটকের সম্ভাবনাকে সূচিত করতে পেরেছিলেন। চর্চায়, মননে জাগ্রত ছিল দর্শক ও শিল্পীর এই বিনোদন মেলা। আজ কেন সেই দর্শক মুখ ফিরিয়ে নেয়? টেলিভিশন কেন তার ভিশন হারাচ্ছে, তা তলিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে। আমাদের টেলিভিশন চলে বিজ্ঞাপনের পয়সায়। সে কারণেই নাটকে আমরা আর জীবনের বিজ্ঞাপন দেখি না। ক্ষণে ক্ষণে বিজ্ঞাপন, নাটকের সারাটা শরীরজুড়ে বিজ্ঞাপন। গল্পে, চরিত্রে, চরিত্রায়ণে, নির্মাণে, সর্বত্র বিজ্ঞাপন। নির্মাণকর্মীকেও তাই হতে হয় শিয়ালের মতো চালাক, একই কুমিরছানাকে বারবার দর্শকের সামনে হাজির করা। শিল্প-নির্মাণের আকাঙ্ক্ষার বীজ ধানটুকু তাকে খেয়ে ফেলতে হয়। স্বপ্নের পুষ্পোদ্যান তাই আগাছায় ভরে থাকে। ভরে থাকে অযোগ্যের অহেতুক ভিড়ে। নির্মম কথাটি হলো, টেলিভিশনে আজ আর ‘ডিরেক্টর’-এর প্রয়োজন পড়ে না, দরকার শুধু একজন ‘অ্যারেঞ্জার’-এর। কেন হলো এসব? টেলিভিশনের কর্তব্যক্তিরাই বা কারা? কী তাদের অভিলাষ? প্রিয় সহকর্মীরা, অভিযোগের তর্জনী অন্যের দিকে তোলার আগে আয়নায় নিজের মুখখানি একবার দেখে নিন। জেনে নিন, সর্বনাশের এই উৎসবে আপনার নিজের ভূমিকাটুকু। জানি, বিষয়টা এত সহজ নয়। জটিল বলেই তাকে পাশ কাটিয়ে কোন সমাধানও সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত লাভের বর্তমানটুকু সামলে নেওয়ার রীতি বন্ধ হোক, সম্মিলনের আকাঙ্ক্ষা হোক আগামীর, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একটি সুন্দর বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি গড়ে নেওয়ার শুভকামনায়। ভবিষ্যৎ বিনোদন টেকনোলজির যে ধরনের পরিবর্তন সারা দুনিয়ায় ঘটতে যাচ্ছে, তার ইশারা থেকে বলছি, টেলিভিশনের ভবিষ্যৎ ভালো। টেলিভিশনের কর্তারা নিশ্চয়ই সে খবর জানেন।২.সার্কাসের বাঘ বুড়িয়ে গেলে ভয় পায় না ছোট্ট শিশুটিও। এদিকে নিত্যনতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন নবীন ম্যাজিশিয়ান। এবার বলছি দুয়োরানির কথা। একই দিনে মুদ্রিত আরেকটি খবর, সিনেমার নতুন প্রস্তাবনা। কয়েক শ ডিজিটাল সিনেমা হল নির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আবুল খায়ের। আরও খবর হলো—নবীন নির্মাতাদের সিনেমায় অর্থায়ন। প্রতিবছর প্রায় কুড়িটি ছবি নির্মানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করলেন তিনি। বানাবেন এ দেশের যেকোনো যোগ্য তরুণ নির্মাতা। এ দেশের সিনেমার দীর্ঘ সংকটের কালে বেঙ্গলের এই প্রকল্পটি নির্মাতা, দর্শক সবার জন্যেই একটি বড় খবর। প্রয়োজনীয় এই উদ্যোগকে এ দেশের অগুনতি নবীন নির্মাতাদের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। এর সাফল্য কামনা করি। তবে শুভকামনাতেই সীমিত থাকলে চলবে না, আবারও মনে রাখা প্রয়োজন নিজের ভূমিকাটুকু। কিন্তু, নবীন নির্মাতারা, এত যে হাহাকার করি টাকা নাই টাকা নাই, প্রোজেকশন সিস্টেম নাই, প্রযোজক নাই...এখন সিনেমাটা হবে তো? হতে হবে। কারণ, এটা সময়ের দাবি। শুধু ফরম্যাট নিয়ে কিছু টার্মস আর টার্মিনোলজি আউড়ে ছবি বানাচ্ছি—এই ভঙ্গিতেই যেন ফুরিয়ে না যায় সব উদ্যম। ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যাপারটা স্পষ্ট করে বুঝে নেওয়ার সঙ্গে জেনে রাখা প্রয়োজন, আমাদের এতদিনকার সিনেমার অর্জন-বিসর্জনের সবটা।নবীন নির্মাতা আপনি প্রস্তুত তো? নিজের পুুরোনো কথাটা আবার বলি—প্রথমত: সময় নাই।দ্বিতীয়ত: এখনই সময়।তৃতীয়ত: তুমি না থাকলেও ব্যাপারটা ঘটবে, তবু তোমাকেই চাই।চতুর্থত: আসুন নতুন-ছবি-নির্মাতা, ফের পায়ে পায়ে রচনা করে নিই নিজস্ব পথটুকু। |
আতাউর রহমান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় আজ মঞ্চস্থ হবে নাটক রুদ্ররবি ও জালিয়ানওয়ালাবাগ। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বাহাত্তরে পদার্পণ...১৮ জুন ছিল আমার জন্মদিন। খুব ভালো একটা দিন কেটেছে। জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মামুনুর রশীদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন। তরুণ নাট্যকার আর পরিচালকেরাই অনুষ্ঠানটির অয়োজন করেছিল। ওরা আমাকে এবং আমার কাজকে ভালোবাসে।‘রুদ্র রবি ও জালিয়ানওয়ালাবাগ’...জালিয়ানওয়ালাবাগে যে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, সেটি রবীন্দ্রনাথ কীভাবে দেখেছিলেন, এই নিয়ে নাটকের গল্প। এক ঘণ্টা ২৫ মিনিটের একটা নাটক। নাটকের নামে জালিয়ানওয়ালাবাগের সঙ্গে রুদ্র রবি শব্দটা আমি যোগ করেছি। নাটকটা নিজের মতো করে সাজিয়েছি। সত্যজিৎ রায় যখন চারুলতা ছবিটি তৈরি করলেন, সেটা কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ‘নষ্টনীড়’ হয়নি। সত্যজিতের চারুলতাই হয়েছে।সামনে যেসব কাজ আসছে...আমার বিভিন্ন লেখা নিয়ে একটা বই বের করব। তা ছাড়া সেই যে ১৯৭২ সাল থেকে নাটককে ঘিরে আমার মানসিক বিবর্তন, এটা নিয়েও কিছু লিখব ভাবছি। মঞ্চে বেশ কিছু নাটক আসছে—চন্দ্রাবতী, ডিয়ার লায়ার। এ ছাড়া বাংলার মাটি বাংলার জল নামে একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে কথা চলছে।অভিনয় নিয়ে অতৃপ্তি...আমার মনে হয়, আমরা এখনো পুরোপুরি পেশাদার অভিনেতা হতে পারিনি। স্টিভেন স্পিলবার্গের লিংকন চলচ্চিত্রটি যখন দেখি, ভীষণ মুগ্ধতা কাজ করে। ড্যানিয়েল ডে লুইস কীভাবে এক বছর ধরে নিজেকে এই সিনেমার জন্য তৈরি করেছেন! আমাদের পারিপার্শ্বিকতার জন্যই হোক, আর যে কারণেই হোক, আমরা সেভাবে কাজ করতে পারি না। নিজের ব্যক্তিত্বটা পুরোপুরি পরিবর্তন করে ফেলা, এটা অনেক বড় ব্যাপার।যে সময়টা ফিরে পেতে চাই...আমার শৈশব, কৈশোর—সবই চমৎকার কেটেছে। তবে ফিরে পেতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা। একদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে আমরা কাঁদতাম! একদিন মধুর ক্যানটিনে আড্ডা দিতে পারব না, ভাবতেই পারতাম না। অপূর্ব চারটা বছর কেটেছে!মো. সাইফুল্লাহ |
বাংলাদেশ টেলিভিশনসন্ধ্যা৭-২৫ নয়নের আলো।৮-৪০ অন্তরে অন্তরে।৯-০৫ অনির্ধারিত।১০-২৫ কোথাও কেউ নেই।১১-০০ উন্নয়নে বাংলাদেশ।এটিএন বাংলারাত৮-০০ প্রজ্ঞা পারমিতা।৮-৪০ চুপি চুপি।৯-২০ ছায়াবৃতা।১১-০০ সীমারেখা।চ্যানেল আইসন্ধ্যা৭-৫০ স্পেলিং বি।৯-৩৫ বনলতা।১১-৩০ ঘটকের বিয়ে।একুশে টিভিসন্ধ্যা৭-৫০ নাটক।৯-৩০ একুশের চোখ।১০-১০ তবুও বাঁধন।১১-৪০ জনতার কথা।এনটিভিবেলা২-৩৫ আজ আলোকের এই ঝর্ণাধারায়। সরাসরি।৫-৪০ পঞ্চরূপা।৬-৪৫ সাইটেক ওয়াচ।৮-১৫ মায়ানিগম।৯-০০ পৃথার হাতে বিনয়।৯-৪৫ শান্তি নিলয়।১১-৩০ এক দশকে এনটিভি।দেশ টিভিসন্ধ্যা৭-৪৫ দেশ-ই গল্প।৮-১৫ স্টাইল অ্যান্ড ফ্যাশন।৯-৪৫ রেডিও চকলেট রিলোডেড১০-৩০ রেস্টুরেন্ট টোয়েন্টিওয়ান।১১-৫৫ ধনেশ পাখির ডাক।আরটিভিসন্ধ্যা৬-০৫ দুই দারোয়ান।৮-১০ গোপনে।৯-০৫ অলসপুর।৯-৫০ ইতি দুলাভাই।১১-২০ নাটক।১২-০৫ মিউজিক ফেস্ট (বেলাল খান, লিজা)।বাংলাভিশনরাত৮-১৫ দুই টাকার বাহাদুরী।৯-০৫ সৌন্দর্য কথা।৯-৪৫ কর্তাকাহিনি।১১-২৫ সুরের শব্দজাল।বৈশাখী টিভিসন্ধ্যা৬-২০ বাটি চালান।৮-০০ বড় বাড়ির ছোট বউ।৮-৩৫ রান্নাঘর।৯-২০ অগ্নিপথ।১০-৫০ সংঘাত।১১-৩০ নায়িকা উপাখ্যান।মাছরাঙা টেলিভিশনরাত৮-০০ ভালোবাসি কত ভালোবাসি না তো।৯-৩০ অসাধারণ।১১-০০ তোমায় গান শোনাব (প্রদীপ নন্দী)।চ্যানেল নাইনসন্ধ্যা৭-৪০ গ্রন্থিকগণ কহে।৮-২৫ নাগরিক।৯-০০ ওয়ানা বি ট্রাভেলার।৯-৪৫ ট্রিক অর ট্রিট।১০-১৫ ইডিয়টস।১১-০০ নিশিগন্ধা।চ্যানেল টোয়েন্টিফোরসন্ধ্যা৬-২০ প্রসঙ্গ রাজনীতি।৮-১৫ ডেটলাইন বাংলাদেশ।১১-০০ মুক্তবাক।জি টিভি (গাজী টিভি)রাত৮-১০ মায়া।৮-৫৫ আজকের রান্না।৯-৩৫ হারমনি।১১-০০ ঘর মন জানালা।এশিয়ান টিভিসন্ধ্যা৭-৪০ বিশাখা।৮-২০ নাটাই পাড়া বনাম ঘুড্ডি পাড়া।৯-০০ জীবন সংসার।৯-৪০ সেকেন্ড ইনিংস।১০-২০ মুভি বাজার।১১-০০ গানের ডায়রি।এসএ টিভিরাত৮-০০ শেক আইটি আপ।৮-৩০ বিশেষ দ্রষ্টব্য।৯-০০ অনির্ধারিত।১১-০০ টক টু এসএ টিভি।১১-৩০ করপোরেট আইকন। |
সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে হয়ে গেল বাংলালিংক-প্রথম আলো মাদকবিরোধী কনসার্ট। এর আগে কনসার্ট নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে মূল পত্রিকায়। এবার জেনে নিন কনসার্ট দুটির টুকিটাকি...আষাঢ়ের শুরু। অথচ বৃষ্টির নেই দেখা! শেষ পর্যন্ত অবশ্য আষাঢ় নিরাশ করেনি। ৭ আষাঢ়, ২১ জুন রাজধানী ঢাকার অদূরে ফ্যান্টাসি কিংডমে দুপুরে তখন খররোদের দাপট। আর এই খররোদ উপেক্ষা করেই ফ্যান্টাসি কিংডমের কনসার্ট মঞ্চের সামনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে জড়ো হতে থাকেন কনসার্টপ্রেমীরা। ঘোরাফেরার পাশাপাশি প্রিয় শিল্পীদের গান শোনা এবং চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পীদের কাছ থেকে মাদক সম্পর্কে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা ছিল বাড়তি পাওনা।কনসার্ট ভেন্যুতে সবার আগে এসে পৌঁছান ক্লোজআপ তারকাখ্যাত রিংকু। বললেন, ‘ছুটির দিন। তাই সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে এসেছি।’পৌনে চারটার দিকে ফ্যান্টাসি কিংডমে এসে পৌঁছান সেরাকণ্ঠের ইমরান। ‘আজ সকালেই ভারতে মিউজিক ভিডিওর শুটিং করে এলাম। সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। মাদককে “না” বলার মতো এমন একটি আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে নিজেকে বেশ ভাগ্যবান বলে মনে করছি।’ বললেন ইমরান।ফ্যান্টাসি কিংডমের মঞ্চের বিশ্রামকক্ষের বাইরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন ন্যান্সি। আসিফ তাঁকে বললেন, ‘তোমার মায়ের মারা যাওয়ার খবরটা আমাকে বেশ অবাক করছে। আমি খুবই দুঃখিত। তোমার মা কিন্তু আমাদের খুব পছন্দের মানুষ ছিলেন।’আসিফ জানালেন, তিনি এসেছেন মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে। সেখানে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন। পাঁচ রানের জন্য নাকি হেরে গেছেন। ইমন, নিপুণ ও আরেফিন শুভ এলেন খুব কাছাকাছি সময়ে। আসিফের মতো ইমনও এসেছেন মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলে। হেরে যাওয়ায় মন কিছুটা খারাপ বলে জানালেন।বাংলা চলচ্চিত্রের খলচরিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর ফ্যান্টাসি কিংডমের বিশ্রামকক্ষে ঢুকে সবার সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন। মঞ্চে এসে বললেন, ‘পর্দায় সবাই আমাকে মদপান, ধূমপান করতে দেখেছেন, আমি কিন্তু জীবনে কোনো দিন নেশা করিনি।’তিশা ঈদের নাটকের শুটিং করছিলেন। শুটিং থেকে কয়েক ঘণ্টার বিরতি নিয়ে স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যান্টাসি কিংডমে মাদককে ‘না’ বলতে আসেন। ফারুকী-তিশা দম্পতির আলাপচারিতায় মুগ্ধ হন দর্শকেরা। তিশার ভালোবাসায় মাদকের আসক্তি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসেন, তা জানান ফারুকী।গানের মধ্যে বিরতি। মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় লেখক ও প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। শোনান এক মায়ের গল্প; যে মা নিরুপায় হয়ে মাদকাসক্ত সন্তানকে খুন করার জন্য ভাড়া করেছিলেন ভাড়াটে এক খুনিকে। এরপর আনিসুল হকের আহ্বানে মাদককে ‘না’ বলার আহ্বানে সাড়া দিতে একে একে মঞ্চে আসেন সব শিল্পী। সমস্বরে তাঁরা সবাই মাদককে ‘না’ বলেন।এদিকে আইয়ুব বাচ্চুর জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করতে হবে। কারণ, সন্ধ্যায় আরেকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে তাঁকে। মুনমুনের ঘোষণার পরই দলবল নিয়ে মঞ্চে আসেন আইয়ুব বাচ্চু। একে একে গেয়ে শোনান বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। মঞ্চে জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুট। ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি’ দেশাত্মবোধক গান দিয়ে পরিবেশনা শুরু করে দলটি। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন ছবিতে চিরকুটের গাওয়া ‘কানামাছি’ গানটির সঙ্গে নেচে-গেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে দর্শকেরা।সব শেষে মঞ্চে আসেন আসিফ। গানের ফাঁকে ফাঁকে নানা কথা বলে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। আসিফের মঞ্চ ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ঝুমবৃষ্টি।প্রথম আলো ট্রাস্টের মাদকবিরোধী আন্দোলন আয়োজিত এই কনসার্টের সহযোগিতায় ছিল কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও প্রথম আলো বন্ধুসভা। মিডিয়া পার্টনার ছিল চ্যানেল আই ও এবিসি রেডিও। |
কিউবায় ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির নেতা রাউল কাস্ত্রো। বরখাস্ত হওয়া নেতাদের মধ্যে ফিদেল কাস্ত্রোর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো অ্যালার্কনও আছেন। এ ব্যাপারে রাউল কাস্ত্রো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার মানে এই নয় যে, তাঁরা কোনো ভুল বা অপরাধ করেছেন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাউল কাস্ত্রো বলেন, ‘সরিয়ে দেওয়া নেতিবাচক কোনো কিছু নয়। একটি দরজা দিয়ে আপনি প্রবেশ করেন, আবার আরেকটি দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান।’ ৭৬ বছর বয়সী রিকার্ডো অ্যালার্কন কিউবার সবচেয়ে পরিচিত রাজনীতিবিদদের একজন। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি স্পিকারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।বরখাস্ত হওয়া অন্যদের মধ্যে আছেন হোসে মিগুয়েল মিয়ার বারুয়েকোস (৮১), মিসায়েল ইনামোর্ডো (৬০)। বিবিসি। |
বিটিভিবেলা ৩-০৫ অনির্ধারিত।এটিএন বাংলাবেলা ১২-০৫ দেশদ্রোহী (মান্না, শাবনাজ, রাজিব)।চ্যানেল আইবেলা ৩-৩০ পিতা।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ নীল আকাশের নিচেআরটিভিদুপুর ১২-৩০ জন্ম (শাকিব খান, শাবনূর)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ শেষ সংগ্রাম।মাছরাঙা টেলিভিশনসকাল ৯-০২ খবরদার (রিয়াজ, পূর্ণিমা)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ আসমান জমিন (ওয়াসিম, অঞ্জু)।জি টিভি (গাজী টিভি)বেলা ১১-০৫ সমাজকে বদলে দাও (মান্না, শাবনূর, মিশা)।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩৫ প্রেম জোয়ারে (কুশল, অনুপমা, উৎপল দত্ত)।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ প্রেম প্রতিজ্ঞা (চিরঞ্জিৎ, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা)।জলসা মুভিজসকাল ৮-২৫ মুন্না-এক আজব প্রেমের কাহিনি (নয়না দাস)। ১১-৪৫ যুদ্ধ (জিৎ, মিঠুন, দেবশ্রী রায়, কোয়েল মল্লিক)। ৩-২০ রাম লক্ষ্মণ (প্রসেনজিৎ, টোটা রায় চৌধুরী, অনু, সন্ধ্যা রায়)। ৬-৪০ কৃষ্ণ (তাপস পাল, ইন্দ্রানী দত্ত)। ৯-৩০ মস্তান (জিৎ, স্বস্তিকা)।জি সিনেমাসকাল ৮-৩২ ত্রিদেব (নাসিরউদ্দিন শাহ, জ্যাকিশ্রফ, সানি দেওল, মাধুরী দীক্ষিত)। ১১-৫৮ লাডলা (অনিল কাপুর, শ্রীদেবী, রাভিনা)। ৩-১৮ নসিব আপনা আপনা (ঋষি কাপুর, ফারহা)। ৬-৩১ কুদরত কা কানুন (জ্যাকিশ্রফ, হেমা মালিনী)। ৯-৩০ কালপুরুষ।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-১৫ হাম (অমিতাভ বচ্চন, গোবিন্দ, শিল্পা, কিমি কাতকার)। ১০-৩০ ফাইটারম্যান সিংহাম (সূর্য)। ৩-০৩ কিউ কি ম্যায় ঝুট নেহি বোলতা (গোবিন্দ, সুস্মিতা সেন, রম্ভা)। ৬-২৯ লোক পরলোক (কৃষ্ণ, সুন্দরিয়া)। ৯-৩০ ১৯২০ এভিল রিটার্নস (আফতাব, টিয়া বাজপেয়ী)।ফক্স মুভিজসকাল ৯-০৫ কনফেশনস অব এ শপহোলিক। ১০-৫০ কুংফু হাসল। ১২-৩০ দ্য সিটার। ১-৫৫ শ্যালো হ্যাল (জ্যাক ব্ল্যাক, গিনেথ প্যালট্রো)। ৩-৫০ ক্রনিকল। ৫-১৫ দ্য ভো (র্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস, স্যাম নিল)। ৭-০০ হোয়াট টু এক্সপেক্ট হোয়েন ইউ আর এক্সপেক্টিং (ক্যামেরন ডায়াজ, জেনিফার লোপেজ)। ৮-৫০ দ্য সিটার। ১০-১৫ পল ব্লার্ট: মল কপ (কেভিন জেমস)। ১১-৫০ শার্ক নাইট।এইচবিওসকাল ৯-০০ দ্য ইতালিয়ান জব (মার্ক ওয়ালবার্গ, শার্লিজ থেরন)। ১১-০০ ডিউস বিগ্যালো: মেল গিগোলো (রব স্নেইডার, উইলিয়াম ফরসাইথ)। ১২-৩৩ হ্যাপি ফিট টু। ২-২৯ গ্রিন ল্যান্টার্ন (রায়ান রেনল্ডস)। ৪-৪২ আই অ্যাম লিজেন্ড (উইল স্মিথ)। ৬-৪৫ স্পিড রেসার। ৯-৩০ হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ (ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ, রুপার্ট গ্রিন্ট, এমা ওয়াটসন)। |
তথ্য ও বিনোদন৩.১৫ অনুরোধের গান—চাইলেই পাইবেন৮.১০ প্রাণ মি. নুডলস মিউজিক ডিসকো১১.১৫ পার্টি নাইট স্পেশাল |
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বুধবার দেশটির সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ মামলার বিষয়ে করা আবেদনের নিষ্পত্তি করেছেন। পাশাপাশি সরকারকে আদালতে উপস্থাপিত তাদের দাপ্তরিক বিবৃতির আলোকে এ বিষয়ে কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকার আদালতে যে বিবৃতি উপস্থাপন করেছিল, তাতে বলা হয়েছে যে সরকার রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে আস্থায় নেওয়ার পর আইনি বিধিবিধান মেনে মোশাররফের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার মামলা দায়ের করবে।গতকাল আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হলে অ্যাটর্নি জেনারেল মুনির এ মালিক আদালতকে বলেন, সংবিধানের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় মোশাররফের বিরুদ্ধে তদন্ত করার বিষয়ে আদালত এর আগে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই মোতাবেক সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তদন্ত করবে। পরে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ওই আবেদনের নিষ্পত্তি করেন এবং সরকারের চলমান তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন। ডন। |
ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র, গুলশানআধুনিক গান। শিল্পী ফাহমিদা নবী ও পার্থ বড়ুয়া। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।নাটমণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়যাত্রাপালা সোহরাব-রুস্তম। পরিবেশনায় নাট্যকলা বিভাগ। সন্ধ্যা সাতটায়।গ্যালারি কায়া, উত্তরাগ্লিম্পসেস। কয়েকজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীর বাছাই করা চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী। চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত।ঢাকা আর্ট সেন্টার, ধানমন্ডিবীরেণ সোমের ছাপচিত্র প্রদর্শনী। চলবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী। জাতীয় চিত্রশালায়, চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র উৎসব। সকাল সাড়ে ১০টায় থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, বেলা তিনটায় লালন, বিকেল পাঁচটায় শুভা ও সন্ধ্যা সাতটায় আধিয়ার।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডপোড়ামন ও টেলিভিশন। দুপুর সাড়ে ১২টা, বেলা সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স ম্যান অব স্টিল, সকাল ১০টা ৫০, বেলা একটা ৪০, বিকেল চারটা ৩৫ ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। জিআইজো: রিটেলিয়েশন থ্রিডি, বেলা ১১টা, দেড়টা, বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। আয়রনম্যান ৩ থ্রিডি, বেলা সোয়া ১১টা, পৌনে দুইটা, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। পার্কার, বেলা সাড়ে ১১টা, দুইটা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। |
মার্কিন নজরদারির খবর ফাঁস করে দেওয়া এডওয়ার্ড স্নোডেনকে স্বাগত জানাতে ইউরোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। গতকাল বুধবার এই আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে নতি স্বীকার করা ইউরোপের দেশগুলোর উচিত হবে না। গণমাধ্যমের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রধানের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্রান্সের লাঁ মঁদ পত্রিকায় লেখা মন্তব্য প্রতিবেদনে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও জার্মানির কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনাই স্নোডেনের প্রাপ্য। এএফপি। |
২৮ জুন। বিকেলে চট্টগ্রামের ফয়’স লেকে মাদকবিরোধী কনসার্ট। তাই এ দিন প্লেন ধরতে হলো সকালেই। আসিফ আকবর, এস আই টুটুল ও তাঁর ধ্রুবতারা ব্যান্ড, অপি করিম, কুসুম সিকদার, ন্যান্সিসহ ১৬ জনের দল আমরা। প্লেনে উঠতে কোনো ঝামেলাই হলো না। বোর্ডিং হচ্ছে। এমন সময় ফোন এল, সড়কপথে চট্টগ্রাম আসার পথে ‘চিরকুট’ রাস্তায় দুর্ঘটনায় পড়েছে। গাড়িটার সামনে-পিছনে একদম ভেঙে গেছে। ভাগ্যিস কেউ আহত হননি। মোটামুটি অক্ষত অবস্থায় আরেকটি গাড়ি নিয়ে চিরকুটের সদস্যরা পৌঁছে গেছেন ফয়’স লেকে। এদিকে ৪০ মিনিট আকাশপথের যাত্রায় আমরাও পৌঁছে গেলাম চট্টগ্রাম। এরপর আরও ৪০ মিনিটে ফয়’স লেক। ঝিরঝির বৃষ্টি। বৃষ্টিভেজা নিসর্গ দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। ছোট ইঞ্জিন বোটে করে যেতে যেতে কুসুম ও অপি ছবি তুলছিলেন। এরপর গাড়িতে চলছিল অপি, কুসম আর আমাদের বিরামহীন আড্ডা। শান্ত মেয়ে ন্যান্সি এর আগের রাতে তিনটা পর্যন্ত লাইভ অনুষ্ঠান করে একটু বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আড্ডা ও গল্পের তোড়জোড়ের মধ্যে কি ঘুমানো যায়! ন্যান্সির ঘুম হলো না।রিসোর্টে পৌঁছে যে যাঁর রুমে। আধঘণ্টা পর গরম পরোটা, ডাল, ডিম, সুজি দিয়ে ভরপেট নাশতা। টেবিলে দেখা হলো চিরকুট দলের সঙ্গে—দুর্ঘটনায় একটু কেটেকুটে গেছে কারও কারও শরীর। মুখে দুর্ঘটনার কথা বললেও চোখে-মুখে কিন্তু কোনো ক্লান্তি ছিল না তাঁদের। বোঝা যাচ্ছিল, চিরকুট আজ দুর্দান্ত পারফর্ম করবে। নাশতা শেষে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হলো, দুইটার মধ্যে বিশ্রাম, গোসল সেরে খাবার টেবিলে দেখা হবে। এস আই টুটুল প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘গান-বাজনা হবে কখন? মনে তো হচ্ছে খেতেই এলাম।’ দুপুরে খাবার টেবিলে রিংকু ও ইমরানকেও দেখা গেল। সবাই মিলে হইচই করে দুপুরের খাবারের পাশাপাশি কে কখন গাইবেন, তা ঠিক করে নেওয়া হলো। গানের ফাঁকে ফাঁকে কারা কথা বলবেন, ঠিক করা হলো তা-ও।অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা তিনটায়; কিন্তু শুরু হলো বিকেল পৌনে চারটায়। তখন বৃষ্টি হচ্ছে—কখনো ঝিরঝির, কখনো ভারী। আমরা ভাবছি, আজ শুধু চেয়ারই থাকবে দর্শকের স্থানে। কিন্তু না। আসিফ আকবর, এস আই টুটুল, ন্যান্সি, চিরকুট, অপি করিম, কুসুম সিকদারের আকর্ষণে ভরে গেল দর্শক সারির সব চেয়ার। অনেকে দাঁড়িয়ে। কনসার্ট চলল জমজমাটভাবেই।আসিফের নাকি প্লেন মিস করার রেকর্ড আছে। তাই সন্ধ্যা সাতটা বাজতেই চিরকুটের গান দিয়ে কনসার্ট শেষ করে রওনা হলাম বিমানবন্দরে। আড্ডায় আর কথায় কখন যে কেটে গেল সময়, টেরই পেলাম না। কনসার্ট শেষে ঢাকা ফিরলাম আমরা। |
শিল্পকলা একাডেমী ও ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির যৌথ আয়োজনে গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র উৎসব। গতকাল বুধবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের ইতিহাস দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে আর তার সঠিক ইতিহাস ধরে রেখেছে এই চলচ্চিত্র। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশে এখনো ভালো সিনেমার দর্শক আছে। জীবনকে বুঝতে হলে ভালো সিনেমা দেখতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন, সভাপতিত্ব করেন একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী।এরপর ২০ জন চলচ্চিত্রকারকে সম্মাননা পদক ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিরা। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন হুমায়ূন আহমেদ (প্রয়াত), তারেক মাসুদ (প্রয়াত), চাষী নজরুল ইসলাম, সারাহ বেগম কবরী, কোহিনূর আক্তার সুচন্দা, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলাম, সাইদুল আনাম টুটুল, কাজী মোরশেদ, আবু সাইয়ীদ, তৌকীর আহমেদ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, মুরাদ পারভেজ, নুরুল আলম আতিফ, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, এনামুল করিম নির্ঝর, টোকন ঠাকুর ও নোমান রবিন। এ সময় চলচ্চিত্র নির্মাতা মশিউদ্দিন শাকের উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয়েছে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের মাটির ময়না। সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শনের জন্য সমকালীন ৫০০ চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করে ২০টি নির্বাচন করা হয়েছে। |
জন্মেছিলাম সাত আষাঢ়ের বৃষ্টিভেজা ভোরে/ আঁতুড়ঘরে তুষ ভিজেছে উশ্যিলার তরে/ সেই সুবাদে বলতে পারি বর্ষা আমার মাতা/ পুত্রদেহে জড়ানো তার ছেঁড়া শাড়ির কাঁথা।’—নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিজের কবিতার চরণগুলো এভাবেই গড়গড় করে বলে গেলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। কিন্তু হঠাৎ কেন আসছে তাঁর জন্মদিনের কথা? কারণ, মাত্র পার হওয়া জুন মাসের ২১ তারিখ ছিল নির্মলেন্দু গুণের ৬৮তম জন্মদিন। আর এ বছরের ২১ জুন কবির জয়ন্তী বেশ সাড়ম্বরেই উদ্যাপন করেছে আবৃত্তি সংগঠন বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি।সেদিন শুক্রবার কবির জন্মদিনে অনুষ্ঠানস্থল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ছিল সাজ সাজ রব। কবি এলেন বিকেল চারটায়। দেখলেন তাঁর কবিতা ‘হুলিয়া’কে উপজীব্য করে তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্র হুলিয়া। এরপর শুরু হলো কবিতা আবৃত্তি—সব সময় প্রথাবদ্ধভাবে মঞ্চে নয়, দর্শকের মধ্যে বসে আছেন নির্মলেন্দু গুণ, তাঁর সামনেই নবীন-প্রবীণ আবৃত্তিকারেরা একে একে আবৃত্তি করছেন তাঁর কবিতা।অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে জ্বলে উঠল ৬৮টি প্রদীপ। কবির ৬৮ বছরে পদার্পণের দিনকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে দর্শক-শ্রোতারা ৬৮টি প্রদীপের আলোয় আলোকিত করলেন পুরো মিলনায়তন।কবির কাছের মানুষ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মামুনুর রশীদ, মোহম্মদ সামাদ প্রমুখেরা তাঁদের বক্তব্যে শুভেচ্ছা জানালেন কবিকে। বিকেল চারটা থেকে রাত ১১টা অবধি নির্মলেন্দু গুণের জন্মদিনে সেদিন আরও অনেক কিছু হলো। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কথা বললেন কবিও।তবে নিজের জন্মদিনে এই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন কেমন লেগেছিল নির্মলেন্দু গুণের?জন্মদিনের বেশ কয়েক দিন পর ৩০ জুন রোববার তাঁকে এই প্রশ্নটি করতেই একমনে নিজের কবিতার চরণগুলো আওড়ালেন তিনি। বোঝা গেল, সেদিন বৈকুণ্ঠের আয়োজন তাঁর মন ভরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘১৯৪৫ সালে এক বর্ষণমুখর সকালে জন্মেছিলাম—সকাল সাতটার দিকে। সেদিন আমার জন্মের ক্ষণে বৃষ্টি ছিল। এর পর থেকে আমার প্রতিটি জন্মদিনেই বৃষ্টি নেমেছে। এমনকি এ বছরের ২১ তারিখেও যখন বৃষ্টি নামল, মনে হলো, প্রকৃতি আমার জন্মদিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।’নির্মলেন্দু গুণের কথাগুলো শোনাল যেন কবিতার মতোই। ঢাকায় বৈকুণ্ঠ ছাড়াও নেত্রকোনার কাশবন ও সুসং দুর্গাপুরের জলসিঁড়ি এবার উদ্যাপন করেছে তাঁর জন্মদিন। কবি বলেন, ‘বৈকুণ্ঠের অনুষ্ঠানে সেদিন অনেক পরিচিতজনই আসেননি। তবে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যখন আমার কবিতা আবৃত্তি করছিল এবং শুনছিলও মন্ত্রমুগ্ধের মতো, তখন খুবই ভালো লাগছিল আমার।’কবির অনুভূতি জানা হলো। এবার বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমির এই আয়োজনের কারণটিও চকিতে জেনে নেওয়া যাক। সংগঠনের কর্ণধার আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা বললেন, ‘নির্মলেন্দু গুণ আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কবি। তাঁর অনেক কবিতাই মানুষের মুখে মুখে। কবিকে সম্মান জানাতেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এর আগে তাঁর ৫০তম জয়ন্তীও আমরা পালন করেছি। আমাদের মনে হয়েছে, কবিতাকে জনপ্রিয় করতে, মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য এ রকম আয়োজন খুবই দরকারি।’বেশ গাম্ভীর্য নিয়ে শিমুল মুস্তাফা বললেন কথাগুলো। কিন্তু আমাদের চোখে কেবল ভাসছে ‘আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি’—বৈকুণ্ঠ আয়োজিত জয়ন্তী অনুষ্ঠানের এই শিরোনাম-লেখাটি—নির্মলেন্দু গুণের ‘স্ববিরোধী’ কবিতার অংশবিশেষ। আমাদের চোখে তখন জ্বলজ্বল করছে ৬৮টি প্রদীপের সেই আলোকোজ্জ্বল মুহূর্ত।ওই প্রদীপের ভেতর মৃত্যুর প্রয়োজনে কবি নির্মলেন্দু গুণ কি আসলেই বড় হচ্ছেন?না, অবশ্যই না। |
তোর এত বড় সাহস, আমাকে ফুল দিতে এসেছিস!’ কথাটি বলার পর নিপুণ কষে একটি থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন শিব শানুর গালে। শিব শানু বড়সড় মাস্তান। আর সামান্য একটা মেয়ে হয়ে কিনা তাঁর গালে থাপ্পড়! হুংকার দিয়ে উঠলেন তিনি। এবার কী হবে?শানুর বাহিনী এসে উঠিয়ে নিয়ে যাবে নিপুণকে। কিন্তু এর মধ্যেই নিপুণকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন ইমন।এফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরের বারান্দায় মায়ের মমতা ছবির এ দৃশ্য ঠিকঠাক ধারণের পর মনিটরের সামনে বসে ‘কাট, কাট, কাট...’—চিৎকার করে উঠলেন পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে বাবু। ‘এ পর্যন্তই থাক। এবার আমরা পরের অংশটুকু, মানে নিপুণকে উঠিয়ে নিতে আসা এবং সঙ্গে সঙ্গে ইমনের প্রবেশ—এই অংশটুকু নেব।’ বলেই পরের দৃশ্যের জন্য ইউনিট কর্মীদের তাগাদা দিয়ে পরিচালক বললেন, ‘তাড়াতাড়ি রেডি হও। বাইরের কাজ অনেক বাকি। যেকোনো সময় বৃষ্টি আসতে পারে।’ এ সময় কথা হলো পরিচালকের সঙ্গে। বললেন, ‘পারিবারিক আবেগকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছবির গল্প। ভালোভাবেই কাজ চলছে। আশা করছি, ঈদের আগে আগে শুটিং শেষ হবে।’ নিপুণ বললেন, ‘আমার চরিত্রের নাম মমতা। একেবারেই চুপচাপ শান্তশিষ্ট একটা মেয়ে। এ চরিত্রে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ওদিকে ততক্ষণে পরের দৃশ্য ধারণের প্রস্তুতি শেষ। সবাই প্রস্তুত। ক্যামেরার পেছনে ব্যাগ কাঁধে প্রস্তুত ইমনও। এর মধ্যে ক্যামেরার সামনে নিপুণকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করেছে শানুর গুন্ডাবাহিনী। চারদিকে টানটান উত্তেজনা। ক্যামেরা চলছে। এবার ক্যামেরার ফ্রেমে ইমন। সঙ্গে সঙ্গে ফাইট ডিরেক্টর আরমানের চিৎকার, ‘কাট, কাট...।’ ‘ওহ! ইমন, তোমার কান্ধে এই ব্যাগ কেন? ব্যাগটা যাচ্ছে না, চেঞ্জ করো।’ বললেন আরমান। একই সঙ্গে ইউনিট কর্মীদের বললেন, ‘এই, তোমরা ওকে কালো রঙের একটা ব্যাগ দাও। এই হলো আমাদের ছবির অবস্থা! মানুষ সিনেমা কেন দেখবে?’ এদিকে তখন কালো ব্যাগ আনতে ১ নম্বর ফ্লোরের গ্রিনরুমের দিকে ছুটছেন এক ইউনিট কর্মী।দুই. পরিচালক সমিতির কার্যালয়ের সামনে আড্ডা দিচ্ছেন কয়েকজন পরিচালক। এর মধ্যে চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোরের রাস্তা ধরে প্রবীণ নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামকে আসতে দেখেই একজন উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আরে, আমাদের হিরো আসছেন!’ কথাটি শুনলেন চাষী নজরুল ইসলামও। কিন্তু তখনো তিনি বুঝতে পারছেন না, কাকে বলা হলো কথাটি—কোন হিরো আসছেন। তাই আশপাশে তাকিয়ে ‘হিরো’ খুঁজছেন তিনি। ‘চাষী ভাই, কাকে খুঁজছেন? আপনাকেই তো বলছি।’ এ কথার পর এতক্ষণে যেন হুঁশ ফিরল চাষী নজরুলের। বিষয়টি বুঝতে পেরে সে সময় হা হা হা করে হাসছেন তিনি। হাসি থামিয়ে বললেন, ‘৮০ বছরের বুড়ো আবার হিরো!’ এবার আবারও কথা বললেন একজন, ‘৮ নম্বর ফ্লোরে নিপুণ শুটিং করছেন। আপনি যদি হিরো হিসেবে কাজ করেন তাহলে নিপুণকে নিয়ে আমি একটা ছবি বানাব, সিরিয়াসলি বলছি।’ উপস্থিত সবার মধ্যে জোরেশোরে হাসির রোল উঠল। আড্ডায় এর মধ্যে চিত্রনায়িকা নূতন এসে হাজির। ‘তুমি হঠাৎ করে কোথা থেকে?’—নূতনকে দেখে চাষী নজরুলের জিজ্ঞাসা । ‘অনেক দিন পর এফডিসিতে এলাম। শাহ মোহাম্মদ সংগ্রামের একটা ছবিতে কাজ করছি। ভাবলাম পরিচালক সমিতিতে গেলে কাউকে না কাউকে পাওয়া যাবেই। শুটিংয়ের ফাঁকে তাই চলে এলাম।’—নূতনের এই জবাবের পর নতুন করে জমে উঠল আড্ডা। |
কার্শিয়ং পাহাড়ের নির্জন একটি জায়গা। এখানে জীবনের অন্তিম মুহূর্তগুলো কাটাতে এসেছেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্রনির্মাতা অনিকেত মজুমদার। সিনেমার পর্দাজুড়ে আমরা দেখছি তাঁকে। আর ওই সিনেমার ফ্রেমের মধ্যে, পাহাড়ি পরিবেশে তিনি দেখছেন নিজের জীবনের শেষ সূর্যাস্ত। বাবার পাশে ক্যামেরা হাতে ছেলে অপ্রতিম মজুমদার। বাবা অনিকেত মজুমদার তাঁকে বললেন, ল্যাটিচিউড কী বোঝ? প্রশ্নের যথার্থ জবাব দিতে পারল না ছেলে। বাবার কণ্ঠ এবার বেশ ভারী, ‘রেঞ্জ, স্কোপ, টলারেন্স’—এই কথাগুলো বলতে বলতে উত্তরটা তিনি নিজেই দিলেন। ফিল্মের ভাষার সঙ্গে কেমন করে যেন জড়িয়ে ফেললেন নিজের জীবনের ইতিবৃত্ত—ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের টানাপোড়েনের দ্বান্দ্বিক চিত্র। পাঠক, সেদিন আমরা সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্রনির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষের আবহমান চলচ্চিত্রটি দেখছিলাম। আপনাদের বলছি সেই কথা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে গত ২৯ জুন সন্ধ্যা সাতটায় এই ছবির প্রদর্শনী হয়েছে। ঋতুপর্ণ ঘোষের স্মরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি যৌথভাবে ২৮ ও ২৯ জুন আয়োজন করে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। অনুষ্ঠানের নাম ‘অতঃপর ঋতুপর্ণ’। ২৮ জুন, বিকেল তিনটা। জাতীয় চিত্রশালার লবিতে ঋতুপর্ণের ছবিতে পুষ্পমাল্য এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হয় ঋতুপর্ণের তিনটি ছবি—দহন, দোসর ও চোখের বালি। একই মিলনায়তনে পরদিন ২৯ জুন বিকেলে ছিল স্মরণসভা। এখানে ‘ঋতুপর্ণ কি একটি কাল্পনিক চরিত্র?’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ পড়েন কবি ও চলচ্চিত্রনির্মাতা টোকন ঠাকুর। আলোচনা করেন চলচ্চিত্রের মানুষ মসিহউদ্দিন শাকের, আনোয়ার হোসেন, শামীম আখতার, ফাহমিদুল হক, সাবরিনা সুলতানা ও ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন। শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় ঋতুপর্ণের জীবন ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের পুরো আয়োজনে একে একে যেন সিনেমার মতো ভেসে ওঠে হরেক রকমের ঋতুপর্ণ। |
নিজেদের টাকাতেই পদ্মা সেতু হবে—অনেকটা এমন ভাব থেকেই মূল সেতু নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে সরকার। এবারের বাজেটে এ জন্য এই খাতে ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য ১২০ কোটি ডলারের আলাদা হিসাব খোলার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এই প্রকল্পের মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় হিসাব অনুযায়ী আট হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। সেতু বানানোর টাকা তো তবে প্রায় জোগাড়ই হয়ে গেল!প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বর্তমান সরকারের মেয়াদে সেতুর কাজ শুরু করা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে (‘সরকারের মেয়াদে কাজ শুরু করা নিয়ে সংশয়’, ২৭ জুন, প্রথম আলো)। আর এ নিয়ে সরকারের দুই মন্ত্রীকেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল (‘ডিসেম্বরের মধ্যে কাজের অর্ডার দিতে পারব কি না সন্দেহ রয়েছে’—অর্থমন্ত্রীর এ ধরনের সন্দেহকে মানতে পারেননি যোগাযোগমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, ‘তিনি জিনিয়াস মানুষ, ভালো মানুষ। তবে বয়স হয়েছে, মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেলেন’)।এই বিতর্ক আমাদের এমন ধারণা দিচ্ছে যে সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বা সব ঠিক পথেই চলছে। এখন কবে মাটি কেটে মূল সেতুর কাজ শুরু হবে, বর্তমান সরকারে মেয়াদে হবে কি না, এটাই শুধু মতভেদ বা তর্কবিতর্কের বিষয়। কিন্তু সমস্যাটি আসলে দুই দিন আগে বা পরে সেতুর কাজ শুরুর বিষয় নয়; এই সেতু বানাতে কোনো যোগ্য প্রতিষ্ঠান আদৌ আগ্রহী হবে কি না, সেটাই সম্ভবত এখন সবচেয়ে বড় সংশয় ও অনিশ্চয়তার জায়গা।পদ্মা সেতু তৈরির জন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেতু বিভাগ গত বছর এই নির্বাচনের কাজটি করেছিল। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকাভুক্ত চীনের একটি প্রতিষ্ঠানকে (সিসিসিসি) বর্তমান দরপত্রের প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে (যদিও পদ্মা সেতু প্রকল্পে এখন বিশ্বব্যাংকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই)। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের অংশ হিসেবে বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র কেনা এবং তা জমা দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে সেতু বিভাগ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে বাস্তবতায় এই চারটি প্রতিষ্ঠান একসময় পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ পেতে আগ্রহী ছিল, সেই বাস্তবতা বা পরিস্থিতি কি এখনো বজায় রয়েছে?এই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন পদ্মা সেতু নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, তখন বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকার মতো প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিষয়টি শুধু আর্থিক নিশ্চয়তার বিষয় নয়, যেকোনো প্রকল্পে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকা মানে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন সক্ষমতা বেড়ে যাওয়া। কারণ, অর্থ জোগান দেওয়ার পাশাপাশি বড় প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও তদারকির ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনে কারিগরি দক্ষতা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে। যেকোনো আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি বা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মানের তদারকি বা পর্যবেক্ষণের অধীনে কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বর্তমান বাস্তবতা তাই আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে নয় বলেই মানতে হচ্ছে।পদ্মা সেতু একটি বড় প্রকল্প। এটি বানাতে যে টাকাপয়সা লাগবে, তার পুরোটার জোগান আছে—এমন অবস্থাতেই শুধু একটি বড় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কাজ করতে চাইবে। আগে একটি লেখায়ও প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছিলাম। ‘যেকোনো বড় প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য এর পুরো অর্থ কোথা থেকে এবং কীভাবে আসবে ও খরচ হবে (টেকনিক্যাল ভাষায় যাকে পূর্ণাঙ্গ “ফিন্যান্সিয়াল ক্লোজ” হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে), তা চূড়ান্ত করা অবশ্যকরণীয় একটি বিষয়’ (প্রথম আলো, ৮ মার্চ, ২০১৩)। বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব বা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে কিছু ডলার আলাদা করে রাখার ঘোষণাকে আর যাই হোক, পূর্ণাঙ্গ ফিন্যান্সিয়াল ক্লোজ বা প্রকল্পের চূড়ান্ত আর্থিক নথি হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এ ধরনের কিছু ছাড়া কোনো নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কাজ করার ঝুঁকি নিতে যাবে কেন?যোগ্যতার প্রথম পরীক্ষায় পাস হওয়া এই চারটি প্রতিষ্ঠান একবার কাগজপত্র তৈরির পেছনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেছে (বিশ্বব্যাংক যুক্ত থাকায় তখন আর্থিক নিশ্চয়তা ছিল)। এখন অর্থের জোগান নিয়ে যেহেতু অনিশ্চয়তা, তাই দরপত্র কেনা এবং দরপত্রের কাগজপত্র বানানোর জন্য নতুন করে ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো আগ্রহী হবে এমন আশা করা কঠিন!পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে জল-পানি সবই গড়িয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ এবং সেই অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর বিশ্বব্যাংকসহ বড় দাতাদের সরে যাওয়া, কানাডায় দুর্নীতির অভিযোগে মামলা, দেশে দুদকের মামলা, যোগাযোগমন্ত্রীর বিদায়—এসব ঘটনা এই প্রকল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বাস্তব পরিস্থিতিতে এমন কোনো পরিবর্তন হয়নি, যাতে আন্তর্জাতিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থা ফিরে আসতে পারে।দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে যেখানে বিশ্বব্যাংক নিশ্চিত, সেখানে সরকারের পুরোপুরি অস্বীকার (‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি’—সংসদে সেদিনও এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম আলো, ৩০ জুন) এক বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতির সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য কোনো তদন্ত না হওয়ায় ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। দুদকের মামলায় অভিযুক্ত সেতু বিভাগের সচিব আবার সরকারি চাকরিতে ফিরেছেন। এসব বিষয়ের প্রতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোযোগ ও নজর রয়েছে। সব মিলিয়ে সরকার পদ্মা সেতুর ব্যাপারে এমন নতুন কোনো পরিস্থিতি বা বাস্তবতা সৃষ্টি করতে পারেনি, যাতে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসতে পারে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিজের টাকায় সেতু করব (প্রথম আলো, ৩০ জুন)।’ এই যে ‘নিজের টাকায়’ পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, সেখানে ৮০ শতাংশ অর্থই কিন্তু খরচ করতে হবে বৈদেশিক মুদ্রায়। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের রিজার্ভ থেকেই নিতে হবে এই অর্থ। এখন দেশে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে, সেখান থেকে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ নেওয়া আসলে কতটুকু বাস্তবসম্মত?যে রিজার্ভ দিয়ে মাস চারেকের আমদানি বাণিজ্যের বিল পরিশোধ সম্ভব, সেটাকে সাধারণভাবে সন্তোষজনক রিজার্ভ হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভকে সেই বিবেচনায় সন্তোষজনক বলা যায়, কিন্তু রিজার্ভের অবস্থা আবার এমনও নয় যে এখান থেকে অর্থ সরানো যায়! সামনে নির্বাচন আসছে—ক্ষমতা পরিবর্তনের এ ধরনের পরিস্থিতিতে রিজার্ভের ওপর প্রভাব পড়ে। সন্তোষজনক অবস্থা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যেতে খুব সময় লাগে না। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচন-পরবর্তী রিজার্ভের ওঠানামার বিষয়টি এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া যায়। বাংলাদেশের সামনের নির্বাচন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রিজার্ভের অবস্থা—এসব বিষয় টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিবেচনার মধ্যেই থাকবে।কোনো প্রকল্পে কাজ করা অনেক লাভজনক মনে হতে পারে, কিন্তু যেখানে ঝুঁকি আছে, সেখানে কাজ নেওয়ার আগে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিচার-বিবেচনার শেষ থাকে না। স্বচ্ছতা ও তহবিলের নিশ্চয়তা—এই দুটিকে যেকোনো প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয় বলে জানান সাবেক সচিব ও ফিন্যান্সিং লার্জ প্রজেক্টস গ্রন্থের সহরচয়িতা এম ফাওজুল কবির খান। ‘যেকোনো বড় প্রতিষ্ঠান কাজ করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা যেমন চাইবে, তেমনি কাজের প্রতিটি পর্যায়ে যথাসময়ে বিল পাওয়ার নিশ্চয়তাও চাইবে। কিন্তু পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে দুটি ব্যাপারেই অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।’গত ২৭ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণের যে আন্তর্জাতিক দরপত্র ডাকা হয়েছে, তার দলিল সংগ্রহ করা যাবে ৭ জুলাই থেকে। আর জমা দিতে হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেবে বা আদৌ কেউ নেবে কি না, তা এর আগে বলার সুযোগ নেই। মাওয়া ও জাজিরাকে যুক্ত করবে যে পদ্মা সেতু, তার জাজিরা অংশে সংযোগ সড়ক তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। মাওয়া অংশের কাজও হয়তো খুব শিগগির শুরু হবে। ওপরে যে নানা আশঙ্কার কথা বলা হলো, সেটার ভিত্তি বাস্তব পরিস্থিতি। এই আশঙ্কা ভুল হিসেবে প্রমাণিত হলেই আমরা খুশি হব। তবে তা সত্য হলে পদ্মার দুই পারে সুন্দর দুটি সংযোগ সড়ক নিয়েই আপাতত আমাদের খুশি থাকতে হবে!এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।akmzakaria@gmail.com |
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে সাবেক সামরিক স্বৈরাচারী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও তাঁর দল জাতীয় পার্টির আনুকূল্য লাভের জন্য দুই দল ও জোট ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। রাজনীতির ওই দুষ্ট গ্রহকে নিজেদের জোটে ধরে রাখা বা অন্য জোট থেকে ছুটিয়ে আনার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে অশুভ প্রতিযোগিতা নতুন করে শুরু হয়েছে। এরশাদ এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এর আগে একসময় বিএনপির সঙ্গেও ভিড়েছিলেন। সম্প্রতি এরশাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। তাঁর দলের দুই মন্ত্রীও তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। গত সোমবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দেখা করেন এরশাদের সঙ্গে। অন্যদিকে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সমর্থন আদায়ের জন্য দুই দলের সমর্থনপ্রাপ্ত দুই মেয়র পদপ্রার্থীও তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। এসব সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে রাজনীতির বাজারে এরশাদের দাম আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হলো।মাত্র ২৩ বছর আগে গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছিল। এরপর সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক ধারা দেশে ফিরে আসে। এরশাদের দীর্ঘ নয় বছরের অপশাসনের সময় সেলিম-দেলোয়ার-বসুনিয়া-তাজুল-ময়েজউদ্দিনসহ অগণিত ছাত্র-যুবক-রাজনৈতিক নেতা শহীদ হয়েছেন। সবাই চাইছিলেন, এরশাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তাঁর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক। মামলা ও বিচার শুরু হয় বটে, কিন্তু মাত্র একটি মামলায় নামমাত্র সাজা ছাড়া আর কোনো মামলা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি। অনেক মামলা তুলে নেওয়া হয়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ভোটে জয়লাভ নিশ্চিত করার জন্য পর্যায়ক্রমে এরশাদের সঙ্গে প্রকাশ্য ও গোপন আঁতাত করে চলতে থাকে। দুই দল ও জোটের আশীর্বাদ ছাড়া এরশাদের পক্ষে জাতীয় রাজনীতিতে সদম্ভ পদচারণ সম্ভব ছিল না।আদর্শের রাজনীতি ও নির্বাচনী রাজনীতির মধ্যে অনেক পার্থক্য। গণতন্ত্রে নির্বাচনী রাজনীতির অগ্রাধিকার অনস্বীকার্য। কিন্তু নির্বাচনে শুধু জয়লাভের জন্য আদর্শ বিসর্জন দেওয়া যায় না। যেকোনো রাজনৈতিক দলের ন্যূনতম আদর্শগত ভিত্তি অবশ্যই থাকতে হবে। এসব আদর্শের প্রথম কথা হলো গণতন্ত্র। গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের মধ্যে কোনো আপস হতে পারে না। যে দল স্বৈরাচারকে স্পষ্টভাবে ‘না’ বলতে পারে না, গণতন্ত্রে তার পক্ষে অবদান রাখা খুব কঠিন।দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এরশাদ এখনো রাজনীতির মাঠে ছড়ি ঘোরাতে পারছেন। তিনি এখন গণতন্ত্রের দাবিদার সেজেছেন। বলছেন, তিনি একাই নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবেন। এরশাদ অধ্যায়ের সমাপ্তি হওয়ার কথা ছিল বিগত শতাব্দীর নব্বই সালে। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে সেই বোঝা এখনো দেশকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে দুটি বড় রাজনৈতিক দল। দেশবাসী চায় না যে ভোটের রাজনীতির জন্য তারা গণতন্ত্রের মৌলিক আদর্শ বিসর্জন দিক। এর পরও যদি তারা আদর্শ জলাঞ্জলি দেয়, জনগণ শুধু বলবে, ছি, ছি, ছি! |
এক সপ্তাহ পরেই আসছে রোজা। রোজার পণ্যের মজুত নিয়ে শঙ্কা দূর হয়েছে অনেক আগেই। এর পরও রোজা শুরু না হওয়া পর্যন্ত দাম নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। কারণ, রোজার দু-এক দিন আগে বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেন বিক্রেতারা।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার বিশ্ববাজারে রোজার নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল। আবার রোজা উপলক্ষে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি, সেগুলোর আমদানি হয়েছে চাহিদার অন্তত দেড় থেকে আড়াই গুণ বেশি। ফলে, চাহিদার তুলনায় আমদানি বা মজুত কম হওয়ার অজুহাতে আমদানিপণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ এবার নেই। এর পরও পেঁয়াজের দাম নিয়ে শঙ্কা শুরু হয়েছে। রোজায় বেশি ব্যবহূত এই পণ্য রোজার আগেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। অবশ্য রোজার সময় প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দাম এখনো স্থিতিশীল।জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এবার ছোলা, মটর ডাল, চিনিসহ রোজার পণ্যের সিংহভাগ আমদানি মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম স্থিতিশীল এবং দেশে সরবরাহ ভালো থাকায় এই অবস্থা হয়েছে। তবে রোজার এক-দুই দিন আগে পুরো মাসের বাজার না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কারণ, এতে বাজারে সৃষ্ট বাড়তি চাপের সুযোগে অনেকে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতে পারেন।দাম নিয়ে শঙ্কা: খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত রোজার পণ্যের বিক্রি শুরু হবে রোজার দু-তিন দিন আগে। এ সময় খুচরা বাজারে পণ্যের ব্যাপক চাহিদা ও চাপ সৃষ্টি হবে। এই অস্বাভাবিক চাহিদাকে ঘিরে পাইকারি বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।জানতে চাইলে রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা বিক্রেতা আহমেদ কবীর বলেন, প্রতিবছর রোজার আগেই পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে সেরে ফেলার ঝোঁক থাকে ক্রেতাদের মধ্যে। ফলে, পণ্য পর্যাপ্ত থাকলেও চাহিদাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ে। ক্রেতাদের এই ঝোঁক পাল্টালে কেউ দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতে পারবেন না।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের দামই বেশি বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। তবে ছোলা, মটর ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে।সব পণ্যের আমদানি বেড়েছে: এবারের রোজায় ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে গত মাসে রোজার চাহিদার চেয়ে বেশি চিনি ও ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। যেমন রোজায় চিনির চাহিদা দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ টন। কিন্তু গত মাসে চিনি আমদানি হয়েছে সোয়া দুই লাখ টন। রোজার আগে আসছে আরও ৫২ হাজার টন। একইভাবে গত মাসে ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে সোয়া দুই লাখ টন। রোজায় ভোজ্যতেলের চাহিদা ধরা হয় সর্বোচ্চ দুই লাখ টন। অর্থাৎ, চিনি ও ভোজ্যতেলও চাহিদার চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে।এ ছাড়া রোজায় বেশি ব্যবহূত ছোলা, মসুর ডাল ও মটর ডালের আমদানি গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। গত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত তিন মাসে মসুর ডাল আমদানি হয় ৪৫ হাজার ৭৪৯ টন। একইভাবে গত তিন মাসে ছোলা আমদানি হয় এক লাখ ছয় হাজার ১৭৮ টন। আবার গত তিন মাসে মটর ডাল আমদানি হয় এক লাখ ৫৬ হাজার ৫১৫ টন।জানতে চাইলে এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, এবারের রোজার কোনো পণ্যের সংকট নেই। পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে বিশ্ববাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। |
রমজান মাস আসার আগে জিনিসপত্রের দাম বাড়া নিয়ে লোকজনের মধ্যে একটি ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে, রমজান মাসে প্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যের দাম নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। নিয়মমাফিক ব্যবসায়ীরা পণ্যমূল্য বাড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কার্যত তা ঘটবে তো? রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারও চিন্তিত। সরকারের তরফ থেকে তাই রমজান মাসের আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেনদরবার শুরু হয়, ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়ানোর আশ্বাসও দেন। কিন্তু এসব আশ্বাসে কাজ হয়েছে এমন নজির নেই। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় গত মঙ্গলবার ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম বর্তমানের তুলনায় না বাড়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বাণিজ্যসচিব সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি কতটুকু রক্ষা করেন, সেটাই দেখার বিষয়।রমজান মাসে সাধারণত যেসব পণ্যের দাম বাড়ে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোজ্যতেল, খেজুর, চিনি, বিভিন্ন ধরনের ডাল ও মসলা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি থাকলে এসব পণ্যের দাম বাড়ার কথা। রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদার হিসাব নিশ্চয়ই সরকারের কাছে রয়েছে। আর ব্যবসায়ীরাও নিশ্চিত করেছেন যে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ফলে দাম বাড়ার কারণ নেই। এখন যদি দাম বাড়ে তবে ধরে নিতে হবে যে বাজার কারসাজির মাধ্যমেই তা করা হয়েছে। যার দায় পুরোটাই ব্যবসায়ীদের নিতে হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরকারের বাজারে হস্তক্ষেপ করার তেমন সুযোগ থাকে না। ফলে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী পরিস্থিতি বুঝে বাজার কারসাজির মাধ্যমে বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নিতে তৎপর থাকেন। যার চাপ পড়ে জনগণের ওপর। গত মঙ্গলবারের মতবিনিময় সভায় রমজান মাসের নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা ও তাঁদের সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আমরা আশা করছি, ব্যবসার নৈতিকতা মেনে বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে তাঁরা কঠোর অবস্থান নেবেন। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে যে জিনিসটি চেয়েছেন তা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। আমরা আশা করব, সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। রমজান মাসে এবার স্বাভাবিক বাজার-পরিস্থিতি থাকবে, সেটাই প্রত্যাশিত। |
শিশুদের পাঠশালার উৎসবশিশুদের পাঠশালার উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী শিশু উৎসব সমাপ্ত হয়েছে গত ৩০ জুন। উৎসবের সমাপনী দিনটি ছিল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দখলে। সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশু হাসি আর উচ্ছ্বাসে খেলেছে, মেতেছে এবং গেয়েছে জীবনের জয়গান। সেদিন তাদের সংবর্ধনা ও শিক্ষাসামগ্রী দেওয়া হয়। গত ২৯ জুন মুসলিম হল ও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হয় উৎসব।উৎসব চলাকালে উদ্যাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন শুকলাল দাশ। বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, শিশু উৎসবের কো-চেয়ারম্যান উত্তম কুমার দত্ত, তড়িৎ কান্তি দে, উৎসব উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাধব দীপ।২৯ জুন উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে উপজেলা পর্যায়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মঞ্চ-এর সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সেকান্দর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তড়িৎ কান্তি দে। বিজ্ঞপ্তি।বৈদ্যুতিক টেকনিশিয়ান সমিতির আর্থিক সহায়তা প্রদানচট্টগ্রাম বৈদ্যুতিক টেকনিশিয়ান সমিতির কার্যালয়ে সমিতির প্রয়াত সদস্যদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন ফরায়েজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বৈদ্যুতিক টেকনিশিয়ান সমিতির প্রধান উপদেষ্টা হারুন-অর-রশিদ ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন হোসেন লাইটিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক হোসেন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ছায়েদুল হক প্রমুখ।সভায় প্রয়াত সদস্য মফিজুর রহমানের পক্ষে তাঁর ছেলে আবুল কালাম আজাদ, নাছির উদ্দিনের পক্ষে ছেলে সামির, জামাল উদ্দিনের পক্ষে তাঁর মা ময়ূর উন নেছা ও নিতাই মজুমদারের পক্ষে তাঁর স্ত্রী শিমু মজুমদার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন।শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, যেসব সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের পরিবারকে সমিতির পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং হোসেন লাইটিংয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার টাকা মোট ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।পশ্চিম মাদারবাড়ি আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিতপশ্চিম মাদারবাড়ি আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন গত ২৯ জুন পশ্চিম মাদারবাড়ি সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আলী বক্স ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জহির ইকবাল নির্বাচিত হন।সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলী বক্সের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমিন।শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডবলমুরিং থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মিয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক দোস্ত মোহাম্মদ। দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলররা সরাসরি ভোট দিয়ে পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করেন। বিজ্ঞপ্তি।বেতার কর্মচরী আবদুর রবের শোকসভাবাংলাদেশ বেতার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আবদুর রবের মৃত্যুতে গত ২৬ জুন আগ্রাবাদ বেতার ভবনে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক সৈয়দা শাম্মী আরা চৌধুরী।এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বেতারের আঞ্চলিক প্রকৌশলী কাজী লিয়াকত আলী, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক মাসুদুর রহমান, সহকারী পরিচালক এ বি এম নাজমুল হাছান প্রমুখ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মো. আমিনুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি।শিক্ষক সমিতির বৃত্তি পরীক্ষার সনদ বিতরণ সম্পন্নবাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা পরিচালিত ট্যালেন্ট বৃত্তি পরীক্ষা ২০১২-এর সনদ ও বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠান গত ২৮ জুন বিকেলে রেলওয়ে পাবলিক স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মুহিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের সনদ ও বৃত্তি বিতরণ করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী।বৃত্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সচিব এম এ ছফা চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন তালুকদার, বৃত্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হোসাইনী, সনদ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী তাসনূভা সালসাবিল ও আনারাতুল জান্নাহ। বিজ্ঞপ্তি।তাজকিয়ার বিতর্ক-বিষয়ক কর্মশালাযুব সংগঠন তাজকিয়ার উদ্যোগে বিতর্ক-বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৮ জুন জাকির হোসেন সড়কে হালিমা রোকেয়া মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন তরুণ ও যুব সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।কর্মশালা উদ্বোধন করেন চ্যানেল আই চট্টগ্রাম কার্যালয়ের প্রধান চৌধুরী ফরিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহানশাহ্ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের সচিব এ এন এম এ মোমিন। প্রশিক্ষক ছিলেন অরুণ ভদ্র, সাইফুদ্দিন, শেখ এহসান উদ্দীন ও রায়হানুল ইসলাম। সমাপনী বক্তব্য দেন কর্মশালার প্রধান সমন্বয়ক অন্তু নূর। বিজ্ঞপ্তি।ফেনীতে মাদকবিরোধী সমাবেশ ও শোভাযাত্রাআন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে প্রথম আলো ফেনী বন্ু্লসভা। গত ২৫ জুন সকালে ফেনী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রথম আলো ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবু তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনীর চাড়িপুর বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা ও ফেনী সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন। ফেনী বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিকুন নবীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জহিরুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, রাসেল চৌধুরী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনীকবিতা ও কথামালায় হাফিজ রশিদ খানের জন্মদিন পালনআদিবাসী কাব্য, টোটেমের রাতে হত্যাকাণ্ড, জুম পাহাড়ের ওমসহ ১১টি কাব্যগ্রন্থে স্বকীয় এক কাব্যভাষার জন্ম দিয়েছেন কবি হাফিজ রশিদ খান। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিসর্গ ও আদিবাসীদের জীবন এঁকেছেন তিনি নিজস্ব ঢঙে।গত ২৩ জুন হাফিজ রশিদ খানের ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আলোচকেরা।বিভিন্ন কোরাসের আয়োজনে নগরের চেরাগি পাহাড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কামরুল হাসান। শুরুতে হাফিজ রশিদ খানের জীবনী পাঠ করেন মনিরুল মনির। এরপর তাঁর জীবন ও কাজ নিয়ে আলোচনা করেন খালিদ আহসান, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, এজাজ ইউসুফী, মহীবুল আজিজ, খালেদ হামিদী, নাজিমুদ্দীন শ্যামল, রিজোয়ান মাহমুদ, কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও শাহিদ হাসান।—আলোকিত প্রতিবেদকলায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং মেট্রোপলিটনের নতুন কমিটি গঠনলায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং মেট্রোপলিটনের এক সভা গত ২১ জুন সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে ২০১৩-১৪ সেবাবর্ষের জন্য জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি, মো. দিদারুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক ও কাজী মাহমুদ ইমামকে কোষাধ্যক্ষ করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১ জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু করে। বিজ্ঞপ্তি।সোনালী ব্যাংক জামাল খান শাখার গ্রাহক সমাবেশসোনালী ব্যাংক লিমিটেড জামালখান সড়ক শাখার গ্রাহক সংগ্রহ পক্ষ উপলক্ষে এক সমাবেশ গত ১৮ জুন শাখা ব্যবস্থাপক হারুন উর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপমহাব্যবস্থাপক এম এ কাইয়ুম। তিনি সোনালী ব্যাংকে হিসাব খোলার মাধ্যমে সঞ্চয় করে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য আহ্বান জানান। আগত গ্রাহকদের মধ্যে বক্তব্য দেন দিলীপ দে, মাহবুবুল আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। |
এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী খালের ওপর তৈরি চৌফলদণ্ডী-খুরুশকুল সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হচ্ছে। ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি চালু হলে প্রস্তাবিত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলীয় আঞ্চলিক মহাসড়কের (এবিসি সড়ক) দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার কমবে। এ ছাড়া, বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে ১৫ কিলোমিটার। এতে কক্সবাজার সদর, রামুর একাংশ এবং চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ দুর্ভোগ ও সময়ের অপচয় থেকে বাঁচবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলেও সড়কের খুরুশকুল অংশের ২২০ মিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। ফলে জনদুর্ভোগ থেকে শিগগিরই মুক্তি মিলবে না বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। গত রোববার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর ওপর দিয়ে লোকজন চলাচল করলেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কারণ, সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, সেতুটি নির্মাণ করতে সড়ক বিভাগের ১০ বছর সময় লেগেছে। এখন সেতুর কাজ শেষ হলেও সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় যান চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগ আগের মতোই থেকে গেছে। ঈদগাঁও এলাকার চাষি কেরামত উল্লাহ বলেন, ‘ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ ও ইসলামপুর এলাকায় উৎপাদিত লবণ, চিংড়িসহ তরিতরকারি ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে রামু হয়ে কক্সবাজারে নিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে পরিবহন খাতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। সেতুর সঙ্গে সড়কটি চালু হলে এসব সমস্যা দূর হবে।’ চৌফলদণ্ডী মামুনপাড়ার চাষি নাছির উদ্দিন বলেন, সেতুর দক্ষিণ পাশে খুরুশকুল হতে কক্সবাজার শহর পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়কের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ভাঙা সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক বিভাগের উচিত সংযোগ সড়কের কাজ যথাসম্ভব দ্রুত শেষ করা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে চালু করা হবে। সেতুটি চালু হলে এবিসি সড়কে দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার কমে আসবে। ফলে ঈদগাঁও এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ কম সময়ে কক্সবাজারে যাতায়াতের সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, ‘সেতুর নির্মাণকাজ সম্প্রতি শেষ হলেও বৃষ্টির কারণে খুরুশকুল অংশের ২২০ মিটার সড়কের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তবে সেতু উদ্বোধনের আগেই সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য আমরা কাজ করছি।’ সওজ সূত্র জানায়, চৌফলদণ্ডী খালের ওপর সেতুর নির্মাণের জন্য এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেতুর অভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা চৌফলদণ্ডী, খুরুশকুল, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, ঈদগাঁও, পোকখালী, ইসলামপুর, খুটাখালী, ঈদগড়সহ কক্সবাজার সদর, রামুর একাংশ এবং চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সাথে জেলা সদরের যোগাযোগ কঠিন ছিল। এসব এলাকার মানুষের যোগাযোগ সুবিধার লক্ষ্যে ২০০৩-০৪ অর্থবছরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় খালটির ওপর ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হলেও নানা কারণে কয়েক বছর কাজ বন্ধ থাকে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেতুটির বাকি কাজ শেষ করা হয়। |
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন বনবিটগুলোতে লোকবল-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এসব বনবিটে ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থলে রয়েছেন মাত্র ১৮ জন। পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ১৩ হাজার একরের বিশাল এই বনভূমি রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন বিভাগকে।কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীনে পাঁচটি বনবিট রয়েছে। এর মধ্যে কাকারা বনবিটে একজন বন কর্মকর্তা ও একজন বনপ্রহরী, মানিকপুর ও রিংভং বনবিটে একজন করে বন কর্মকর্তা ও বনপ্রহরী এবং দুইজন করে বাগান-মালি রয়েছেন। এ ছাড়া নলবিলা ও ডুলাহাজারা বনবিটে একজন করে বন কর্মকর্তা, দুইজন করে বনপ্রহরী ও একজন করে বাগান-মালি রয়েছেন। কাকারা বনবিট কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল কবির বলেন, ‘এ বনবিটে দুই হাজার ১০০ একর বনভূমি রয়েছে। অথচ এখানে আমি ছাড়া একজন মাত্র বনপ্রহরী রয়েছেন। এ কারণে বিশাল পরিমাণ বনভূমি দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ বসতি স্থাপন ও বিভিন্ন সময় গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটলেও প্রতিরোধ করার মতো লোকবল নেই। লোকবল-সংকটের কথা কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার জানানো হয়েছে। কেবল কাকারা নয়, অন্য চারটি বনবিটেও একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে। লোকবল সংকটের কারণে বনভূমি রক্ষা করা যাচ্ছে না। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সরাফত আলী বলেন, বন বিভাগে পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব রয়েছে। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন বনবিটগুলোর লোকবল-সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে যারা বনভূমি দখল করছে অথবা গাছ কাটছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। |
ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, টিন দিয়ে ছাদের ফুটো ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। তার পরও সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন আনোয়ারার বরুমচড়া ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ভূমিসংক্রান্ত কাজ এ কার্যালয়ে হলেও দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম।সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই কক্ষবিশিষ্ট বরুমচড়া ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়টি বর্তমানে অনেকটাই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে গিয়ে রড বেরিয়ে এসেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি কক্ষের ছাদ টিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন বৃষ্টির পানি ঠেকানোর জন্য। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি পানি পড়া। পাশের কক্ষেও ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বরুমচড়া ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৬৭ সালে বর্তমান ভবনে ভূমি কার্যালয়ের কাজ শুরু হয়। এ কার্যালয়ে বরুমচড়া, রায়পুর ও জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ১৪টি মৌজার ভূমিসংক্রান্ত কাজ হলেও বর্তমানে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কার্যালয়টিতে একজন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা ও তিনজন কর্মচারী কর্মরত আছেন। তবে, ১০ বছর ধরে ভূমি সহকারী কর্মকর্তার পদটি শূন্য রয়েছে। কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, কার্যালয় চালু হওয়ার পর থেকে এই ভবনের সংস্কার কাজ হয়নি। বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র। ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কাজী মো. এনামুল হক বলেন, ‘ভবনটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।’উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুষমা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ভবনটির বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব, আর বরাদ্দ পেলেই সংস্কারকাজে হাত দেওয়া হবে।’আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ‘প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে আশা করছি আগামী অর্থবছরের শুরুতে ভবনের সংস্কারের কাজে হাত দিতে পারব।’ |
সকাল থেকে সারা দিন চলেছে পোশাক বাছাইয়ের ব্যস্ততা। নানা রঙের নানা পোশাকের ভিড় থেকে সেরা ডিজাইনের পোশাক খুঁজে নিতে গলদঘর্ম হয়েছেন পাঁচজন বিচারক। গতকাল এভাবেই শেষ হলো নুরজাহান-আলোকিত ঈদ ফ্যাশন ২০১৩ প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব। এখন অপেক্ষা চূড়ান্ত পর্বের। ৬ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জিইসি মোড়ের কে স্কয়ার মিলনায়তনে চূড়ান্ত পর্বের কাঙ্ক্ষিত র্যাম্পের পর্দা উঠবে। প্রাথমিক বাছাই পর্বে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার মোহছেনা কোরাইশী, এইচ এম ইলিয়াস, নুর-এ জান্নাত, লুৎফা সানজিদা ও সুলতানা নূরজাহান। এবারের প্রতিযোগিতায় মূল্য অনুসারে ১২টি বিভাগে চট্টগ্রামের মোট ৬৫টি বুটিক হাউস অংশ নেয়। বাছাইয়ের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে বিচারকেরা বলেন, ‘এবার প্রচুর পোশাক জমা পড়েছে। নতুন হিসেবে সবাই বেশ ভালো কাজ করেছে। কিন্তু শুধু ভালো কাজ হলে চলবে না, আসলে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলাই তো ফ্যাশন। পোশাকের প্যাটার্ন ও কালারে এখনকার ট্রেন্ডটা আছে কি না, এ বিষয়টা আমরা দেখছি। তা ছাড়া আমরা চার-পাঁচবার দেখে একেকটি বিভাগের পোশাক বাছাই করছি। এ ছাড়া এবার বাচ্চাদের পোশাকগুলো খুবই সুন্দর। সব মিলিয়ে আমাদের হিমশিম খাওয়ার অবস্থা।’ |
গানের শুরু কিছুটা লুকোচুরির মধ্যে। তখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। বাবার বারণ—ঘরে গান চলবে না। কিন্তু গানপাগল মেয়েটি নাছোড়বান্দা। মাও প্রশ্রয় দেন। পাশে দাঁড়ান বড় ভাই। বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনোর আগেই ভাইয়া হাতে ধরিয়ে দেন ড্রামের কাঠি। ভাইয়ার সঙ্গে বাজাতে বাজাতে একসময় পোক্ত হয়ে যান ড্রামে। আর কি বসে থাকা যায়! গঠন করলেন ব্যান্ড দল। নাম দিলেন ব্লু বার্ডস। এর পরের গল্প মঞ্চ জয়ের। জানান দিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। তিনি আর কেউ নন, ‘পাওয়ার ভয়েজ’-এর বেলী।চ্যানেল নাইনের রিয়েলিটি শো ‘পাওয়ার ভয়েজ’-এ সেরা ছয়ে স্থান পেয়ে গানের জগতে নিজের জায়গা করে নিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে আফরোজা বেলী। সম্প্রতি প্রথম আলো চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কথায় কথায় উঠে আসে তাঁর বেড়ে ওঠার গল্প।শিরোপার কাছাকাছি এসে জিততে পারেননি। কোনো আক্ষেপ কি আছে? দম নিয়ে বলা শুরু করেন বেলী। ‘কোনো আক্ষেপ নেই। আমার লক্ষ্য ছিল নিজেকে তৈরি করা। সেই পথে আমি অনেক দূর এগিয়েছি। এখন নতুন করে গানের জীবন শুরু করব। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল আগে থেকেই, “পাওয়ার ভয়েজ” সেই ভিত আরও শক্ত করে দিয়েছে। কারণ, সব ধরনের গান গাইতে হয়েছে প্রতিযোগিতায়। প্রতিটি ধাপ সুচারুরূপে করার চেষ্টার করেছি। যার ফলও পেয়েছি—সেরা ছয়ে অবস্থান।’‘পাওয়ার ভয়েজ’-এর মহাগুরু প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার একটি কথা বারবার বেলীর কানে বাজে—‘তুমি ভাইরসেটাইল শিল্পী।’ সেই কথা উঠতেই একটু যেন আবেগতাড়িত হলেন। বললেন, ‘আমার দুবার ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু দুবারই খাদের কিনার থেকে টেনে তুলেছেন মহাগুরু। তাঁর এই ভালোবাসা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ রুনা ম্যামের কাছে।’বেলী জানান, ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনের মতো হাজারো শ্রোতার মন কাড়বেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ‘পাওয়ার ভয়েজ’ও খুঁজেছে মঞ্চমাতানো শিল্পীদের। বেলীর অবস্থান সেই জায়গায় বেশ শক্ত। প্রতিটি পর্বে গায়কি অভিব্যক্তির জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।বেলী এর মধ্যে প্লেব্যাক করেছেন তিনটি চলচ্চিত্রে—রাঙা মন, মাটির পিঞ্জিরা ও উতলা মন। এ ছাড়া ‘পাওয়ার ভয়েজ’-এর সেরা ছয় ও ১০ শিল্পীকে নিয়ে বের হবে দুটি অ্যালবাম। এর কাজ শুরু হবে শিগগির। এখন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে গান করছেন নিয়মিত।বেলীর এত দূর আসার পেছনে নেপথ্যে কাজ করেছেন আরও একজন। তাঁর স্বামী মেজবাহ উদ্দিন ওরফে ঝিনুক, যিনি পাশে থেকে সব সময় সাহস জুগিয়েছেন। তিনি নিজেও শিল্পী। ইতিমধ্যে দুটি অ্যালবাম বেরিয়েছে তাঁর। কথার ফাঁকে স্বামীর কথা উঠতেই পাশে বসা ঝিনুকের দিকে মুচকি হেসে তাকান বেলী, যে হাসি কৃতজ্ঞতায় ভরা। বলেন, ‘আমার আজকের অবস্থানের পেছনে ঝিনুকের অবদান বেশি।’ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবেন? বেলীর ঝটপট উত্তর, ‘গানই আমার প্রাণ। সারা জীবন গানেই থাকব।’ |
টাইগারপাস নব দিগন্ত ক্লাব মাঠ। মাঠে সারিবদ্ধ তাঁবু। মধ্যে চলাচলের পথ। পথের বেশির ভাগ অংশজুড়েই কাদা-পানি। কিছু তাঁবুর ভেতরেও একই অবস্থা। টানা বর্ষণে ভোগান্তি বেড়েছে তাঁবুর বাসিন্দাদের। গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পাহাড়ের পাদদেশের বসবাসকারী লোকজনকে এখানে অস্থায়ী পুনর্বাসন করেছে জেলা প্রশাসন।গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশির ভাগ তাঁবুর ভেতর পানি ঢুকেছে। বাসিন্দারা কেউ কেউ ইট বিছিয়ে পানির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। তা-ও ইটের ফাঁক দিয়ে কাদা-পানি উঠে যাচ্ছে। তবে কয়েকটি তাঁবু ভালো অবস্থায় আছে। এসব তাঁবুর চারপাশে মাটি কেটে নালা ও নিচু আকারের মাটির সীমানা তৈরি করেছে বাসিন্দারা।বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টির কারণে তাঁবুতে পানি ঢুকে যাওয়ায় বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বেড়েছে পোকামাকড়ের উপদ্রব; পাশাপাশি এখানে সরবরাহ করা খাওয়ার পানিতে ময়লা-আবর্জনা পাওয়া যাচ্ছে। মাঠে বসানো গণশৌচাগারও অপরিচ্ছন্ন।নব দিগন্ত ক্লাব মাঠে কথা হয় মিনু বেগমের সঙ্গে। পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে এখানে থাকেন মিনু। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুরুতে একটা খাট ছিল। অন্যরা মাটিতে ঘুমাত। কিন্তু পানি ঢুকে যাওয়ায় আর মাটিতে থাকা যাইছে না। তাই আরেকটা খাট এনেছি। ইট বিছিয়ে তার ওপর খাট বসাইছি।’তুলনামূলক ভালো অবস্থা পূর্ব টাইগারপাস প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থাপিত তাঁবুগুলোর। এখানে কথা হয় রিকশাচালক এমদাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘১৮ দিন আগে এখানে এসেছি। আগে বাটালি পাহাড়ে ছিলাম। বৃষ্টিতে গত শনিবার রাতে তাঁবুর একপাশ দিয়ে পানি ঢুকেছিল। এ ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।’উল্লেখ্য, মে মাসে নগরের টাইগারপাস এলাকার নব দিগন্ত ক্লাব মাঠে ৯০টি তাঁবু স্থাপন করে জেলা প্রশাসন। বাটালি পাহাড় ও আশপাশের এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে এখানে অস্থায়ী পুনর্বাসন করা হয়। এরপর সংলগ্ন পূর্ব টাইগারপাস প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আরও ৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।নব দিগন্ত ক্লাব মাঠের তাঁবুতে পানি জমার বিষয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এম এ এইচ হুমায়ুন কবির বলেন, শুরুতে দ্রুতগতিতে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়ায় মাঠটি ভালোভাবে প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। তার পরও বৃষ্টি শুরু হলে মাঠে দুই গাড়ি বালু নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা যদি নিজ উদ্যোগে মাটি দিয়ে তাঁবুর চারপাশ উঁচু করে, তবে আর পানি ঢুকবে না। টাইগারপাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি ভালোভাবে প্রস্তুত করার সময় পাওয়া গেছে। তাই সেখানকার অবস্থা ভালো।খাওয়ার পানি ও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন দুই জায়গায় পাঁচ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করা হয়। একটু যত্নবান হয়ে খরচ করলে পানির সংকট হওয়ার কথা নয়। পানিতে ময়লা পাওয়ার অভিযোগটি আমরা অনুসন্ধান করে দেখছি।’ |
বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভোগান্তি বেড়েছে নগরবাসীর। টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বহদ্দারহাট, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নগরের বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে যাচ্ছে। নগরের যেসব এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণ ও ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলছে, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি। সড়কের কাদা, পানি ও ময়লা আবর্জনা ডিঙিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।কদমতলীর মোড় থেকে স্টেশন রোড ও বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের পাশের সড়ক এমনিতেই ভাঙা। এবার বর্ষার শুরুতে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই এলাকার সড়ক কাদা-পানির দখলে চলে গেছে। একই অবস্থা দেখা গেছে খাজা রোড, মনসুরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায়।নগরের খাজা রোডে সাবানঘাটা থেকে আমিনের দোকান পর্যন্ত প্রায় তিন মাস ধরে চলছে নালা নির্মাণের কাজ। সড়কের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কেটে ফেলা হয়েছে। নির্মাণসামগ্রী আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, নির্মাণসামগ্রী আর কাদা-পানি ডিঙিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুটো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। বৃষ্টিতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।খাজা রোড পেরিয়ে বহদ্দারবাড়ি মসজিদ এলাকায় পৌঁছালেই দেখা মিলবে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের। চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত সড়কে এ কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দারা ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে হেঁটেই চলাচল করছে। বর্ষায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।অন্যদিকে, নগরের গণি বেকারি মোড় থেকে চকবাজার পর্যন্ত সড়কের সম্প্রসারিত অংশে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়নি। গত সপ্তাহে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই সড়কের বড় বড় গর্তে পানি জমে ছিল। ভাঙা সড়কে এসব গর্ত ডিঙিয়েই চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন।গত ২৫ এপ্রিল থেকে ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের দেওয়ানহাট মোড় থেকে ডবলমুরিং থানা পর্যন্ত অংশ বন্ধ করে চলছে ওভারপাসের নির্মাণকাজ। এই সড়কসংলগ্ন মেম গলি, আসকারাবাদ, মনসুরাবাদ ও ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দারা আছে চরম দুর্ভোগে।নগরের আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, হালিশহর, দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহরসহ বেশ কিছু এলাকায় এবারও বর্ষার শুরুতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরের উত্তর পতেঙ্গার কাঠগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গত সোমবার পর্যন্ত পানি জমে ছিল। এ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত শনিবারের পর থেকে বৃষ্টি না হলেও সোমবার পর্যন্ত পানি জমে ছিল। বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটির নিচতলায়ও পানি ঢুকে যায়। তাই বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না।এ ছাড়া নালা-নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় গত সপ্তাহে টানা তিন-চার দিনের বৃষ্টিতে উপচে ওঠা নর্দমার পানির সঙ্গে ভেসে আসা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে ফুটপাতে। এর ফলে ময়লা আবর্জনা ডিঙিয়েই চলাচল করতে হয়েছে নগরবাসীকে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) উপনগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চউকের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ পুরোদমে চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকেরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। প্রকল্প মেয়াদের মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে চেয়ারম্যান মহোদয় নিয়মিত তাগাদা দিচ্ছেন।’ |
মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান, প্রভাষক, রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকাপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য জীববিজ্ঞান ১ম পত্রের অধ্যায়-২ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।প্রশ্ন:ক. কোষ কাকে বলে?খ. সাইটোসল বলতে কী বোঝায়?গ. চিত্র P-এর অনুলিপিকরণ বর্ণনা করো।ঘ. বংশগতিতে চিত্র P-এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।উত্তর: ক. কোষ হলো জীবদেহের গঠন ও কাজের একক, যা স্বনির্ভর ও আত্মপ্রজননশীল, বৈষম্যভেদ্য পর্দা দিয়ে পরিবেষ্টিত অবস্থায় নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটোপ্লাজম নিয়ে গঠিত এবং পূর্বতন কোষ থেকে সৃষ্ট। উত্তর: খ. প্লাজমা মেমব্রেনে বেষ্টিত এবং নিউক্লিয়ার সেমব্রেনের বাইরে কোষীয় অঙ্গাণু ছাড়া বাকি অস্বচ্ছ, সমসত্ত্ব ও কলয়েড-জাতীয় অর্ধতরল সজীব প্রোটোপ্লাজমীয় পদার্থকে সাইটোসল বলে। এতে বিভিন্ন জৈব (প্রোটিন, লিডিপ, কার্বোহাইড্রেট, নিউক্লিক অ্যাসিড, এনজাইম প্রভৃতি) ও অজৈব অণু (৯০ শতাংশ হচ্ছে পানি, সামান্য পরিমাণে খনিজ লবণ, যেমন: Nacl লবণ এবং গ্যাস, যেমন: O2 ও CO2 ভাসমান বা দ্রবীভূত থাকে। বিভিন্ন অঙ্গাণুকে ধারণ করে বলে সাইটোসলকে সাইটোপ্লামিক ম্যাট্রিক্স নামেও অভিহিত হয়।উত্তর: গ. চিত্র P DNA অণুর ডাবল হেলিক্স। যে প্রক্রিয়ায় DNA ডাবল হেলিক্স অবিকল আরেকটি অণুর সৃষ্টি করে, তাকে DNA অণুর অনুলিপিকরণ বা প্রতিরূপ সৃষ্টি বলে। DNA-এর প্রতিরূপ সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি অর্ধসংরক্ষণশীল প্রতিরূপ সৃষ্টি নামে পরিচিত। DNA-এর প্রতিরূপ সৃষ্টি নিচে উল্লিখিত ধাপগুলোর মাধ্যমে অতিদ্রুত, অবিচ্ছিন্ন ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়। ১. হাইড্রোজেন বন্ডের বিলোপ সাধন: প্রতিরূপ সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে পিউরিন ও পাইরসিডিন বেসের সংযোগকারী হাইড্রোজেন বন্ড ভেঙে যায়। ফলে DNA অণুর একাংশ পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে পড়ে এবং প্রতিটি হেলিক্স ছাঁচ হিসেবে কার্যকর হয়।২. সম্পূরক সৃষ্টি: পরস্পর থেকে পৃথক হওয়ার পর হেলিক্স বা সূত্র দুটি ছাঁচের মতো কাজ করে। নতুন হেলিক্স তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান, অর্থাৎ শর্করা, বেস ও ফসফেট যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হয় এবং সম্পূরক সূত্র সৃষ্টি হয়। সর্ম্পূরক সৃষ্টির জন্য অবশ্য DNA পলিমারেজ নামক এনজাইম এবং ম্যাগনেসিয়াম আয়নের উপস্থিতি প্রয়োজন হয়। ৩. ছাঁচের বেসের অনুক্রম অনুসারে সম্পূরক বেসের বিন্যাস ও হাইড্রোজেন বন্ডের সৃষ্টি: নতন সৃষ্ট সূত্র দুটিতে ছাঁচের বেসের অনুক্রম অনুসারে সম্পূরক বেসগুলো বিন্যস্ত থাকে। অর্থাৎ, ছাঁচে যদি অ্যাডেনিন থাকে, তবে তার বিপরীতে সৃষ্ট নতুন সূত্রটিতে থাইসিন সংযোজিত হয়। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় ছাঁচে সাইটোসিন থাকলে তার বিপরীতে সৃষ্ট নতুন সূত্রে সম্পূরক বেগ হিসেবে গুয়ানিন সংযোজিত হয়।। অতঃপর ছাঁচের ও নতুন সৃষ্ট সম্পূরক বেসের মধ্যে পুনরায় হাইড্রোজেন বন্ডের আর্বিভাব হলে একটি DNA অণু থেকে দুটি DNA অণুর সৃষ্টি হয়।উত্তর: ঘ. যে প্রক্রিয়ায় পিতা-মাতার আকার, আকৃতি, দেহের গঠন-প্রকৃতি, শারীরবৃত্ত, আচরণ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমিকভাবে তাদের সন্তানসন্ততির দেহে সঞ্চারিত হয়, তাকে বংশগতি বলে। যেসব বস্তুর মাধ্যমে পিতা-মাতার বৈশিস্ট্য সন্তানসন্ততিতে বাহিত হয় তাদের বংশগতি বস্তু বলা হয়। বংশগতি বস্তুর প্রধান উপাদান ক্রোমোসোম। ক্রোমোসোমে রয়েছে চিত্র-P (DNA), যেখানে জিনগুলো সুসজ্জিত থাকে। জিনই হচ্ছে সব জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ধারক, যা পর্যায়ক্রমে বাহ্যিক চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলে। যৌনজননে অংশগ্রহণকারী জীবের জননকোষ সৃষ্টির প্রাক্কালে পৃথক হয়ে ভিন্ন ভিন্ন জননকোষে প্রবেশ করে। ক্রোমোসোমের সঙ্গে এর জিনগুলো জননকোষের মধ্যে এসে পড়ে। নিষেকের ফলে পুং ও স্ত্রী জননকোষ মিলিত হয়ে জাইগোট গঠন করে। এ জাইগোটের মধ্যে পিতা-মাতার জিনগুলো একত্র হয় এবং সন্তানসন্ততির বৈশিষ্ট্য প্রকাশ ঘটে। এভাবে বংশানুক্রমিকভাবে জিন সঞ্চারিত হয়। সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয়, বংশগতিতে চিত্র-P (DNA) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। |
মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে আজ রাতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট মুরসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছিলেন, দেশটিতে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের কোনো রাজনৈতিক সমাধান না হওয়ায় সরকার এখন সেনা-অভ্যুত্থানের মুখোমুখি।রয়টার্স বলছে, অনেকগুলো সাঁজোয়া যান ও কয়েক শ সেনা মুরসির প্রাসাদের বাইরের রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।মুরসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসাম আল-হাদ্দা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আসুন, মিসরজুড়ে যা হচ্ছে সেটিকে দেশের স্বার্থে ও ইতিহাসের ভুল শোধরাতে সঠিক নামে অভিহিত করি: সেনা-অভ্যুত্থান।’ ওই বিবৃতিতে তিনি ‘ব্যাপক রক্তপাতের’ বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছেন।মুরসির আরেক সহকারী বলেছেন, তিনি কায়রোর কাছাকাছি রিপাবলিকান গার্ডের একটি ব্যারাকে আছেন এবং সেখানেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি উপদেষ্টারা রাত নয়টার পর প্রাসাদ ছেড়ে চলে গেছেন।রয়টার্স আজ বুধবার রাতে জানিয়েছে, সেনারা কায়রোর রাস্তায় কুচকাওয়াজ করা শুরু করেছে, মুরসি ঐকমত্যের সরকার গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং অসংখ্য প্রতিবাদী কায়রোসহ বড় বড় শহরগুলোর পথে পথে বিক্ষোভ করছে।এর আগে মুরসিকে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য দুদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী। এ সীমা আজ অতিক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু মুরসি আগের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। মুরসির সরকারের ইসলামি কার্যক্রম বাস্তবায়নের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।দেশে শান্তি ফেরানোর ঘোষণা দিয়ে সেনা কর্মকর্তারা আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা ‘সন্ত্রাসী ও বোকাদের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রক্ত ঝরাতে ভীত নন।দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের দপ্তরের বাইরে সেনাবাহিনীর অনেকগুলো সাঁজোয়া যান অবস্থান নিয়েছে। সেনারা রাস্তায় টহল দিচ্ছেন এবং অনেক সরকারি কর্মচারীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসিকে হটাতে সেনাবাহিনী এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মুরসিকে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সময় রাত নয়টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। এ সময় পেরোনোর কয়েক মিনিট আগে মুরসির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সরকার রাজনৈতিক সমাধান হিসেবে ঐকমত্যের সরকার গড়ে সম্মত। তবে দেশটির বিরোধী দলগুলো তাঁর এ প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে। |
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মিরসরাই ফায়ার স্টেশনের ভিত্তিফলক অনেকটা ঘটা করে উন্মোচন করেছিলেন স্থানীয় সাংসদ মোশাররফ হোসেন। এর দুই দিন পর কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। কিন্তু চার মাস পরও কাজ শুরু না হওয়ায় মিরসরাইবাসীর প্রশ্ন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি কবে হবে?সাংসদের উন্মোচন করা ভিত্তিফলকের চারপাশের জমিতে এখন থইথই করছে বৃষ্টির পানি। ফলকের এমন অবস্থা দেখে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দরপত্র আহ্বান-প্রক্রিয়া শেষ করে গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি)। এ খাতে গত অর্থবছরে এক কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি স্থাপনের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জনতা এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু ভিত্তিফলক উন্মোচনের চার মাস পার হয়ে গেলেও কাজ শুরু করা হয়নি।উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইসমাঈল জানান, মিরসরাইয়ে প্রতিবছর আগুনে পুড়ছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, সহায়-সম্বলসহ কোটি টাকার সম্পদ। সহায়-সম্বল হারানো লোকজনকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয় খুবই সামান্য। তিনি আরও জানান, গত অর্থবছরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে নয়টি। এতে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৯টি পরিবার। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে ক্ষতি অনেকটা কম হতো।মিরসরাই সদরের বাসিন্দা শামসুদ্দিন ও করিমুল হক বলেন, নির্বাচন এলে মিরসরাইয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন নিয়ে ভোটপ্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি শুনে মানুষ আশায় বুক বাঁধে। কিন্তু দীর্ঘ ৪২ বছরে কোনো সরকারের আমলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপিত হয়নি।মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার জন্য একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন খুবই জরুরি বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জনতা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ কবিরের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।তবে গণপূর্ত বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আমিন মিয়া জানান, অর্থসংকটের কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। বর্ষা কেটে গেলেই কাজ শুরু করা হবে।এ বিষয়ে মিরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘প্রায় প্রতি সপ্তাহে কেউ না-কেউ প্রশ্ন করেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি কবে হবে? আসলে খুব সমস্যা হয় এই প্রশ্নের উত্তর দিতে। গত চার মাসে বহুবার বলেছি, এই তো কাজ শুরু হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তা শুরু হয়নি।’ |
হাজার বছর ধরে চলা নিজস্ব চিন্তা-চেতনায় মুক্তির দাঁড় টানবে আজকের কবিরা। সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিক চিন্তাবলয় থেকে মুক্তির লক্ষ্যে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা রাখবেন তাঁরা। কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত ‘উত্তর ঔপনিবেশিক কবিতা সম্মেলন ১৪২০’-এ এসব কথা বলেন বক্তারা। গত ২৯ জুন সন্ধ্যায় গরাণ শিল্প-সাহিত্য সভা আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ মো. নুরুল বাসির। কবি সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জফির সেতু, কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক লীলা মুরং, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, কবি ভাগ্যধন বড়ুয়া, রুদ্র শায়ক, গরাণ সম্পাদক মানিক বৈরাগী প্রমুখ। শেষে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ ও আঞ্চলিক গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। |
দুখীরাম রুই ও ছিদাম রুই দুই ভাই। অভাব-অনটনের সংসারে দুই ভাইয়ের দুই বউয়ের কলহ-বিবাদ লেগে থাকে দিন-রাত। জমিদারের শোষণে জর্জরিত দুখীরাম একদিন কাজ থেকে ফিরে ভাত চায় স্ত্রী রাধার কাছে। অথচ চাল না থাকায় ঘরে সেদিন রান্না হয়নি, শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীতে বাগিবতণ্ডা। দুখীরাম খুন করে রাধাকে। এদিকে ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের স্ত্রী চন্দরার ঘাড়ে দোষ চাপায় ছিদাম। ‘বউ গেলে বউ পাব, দাদা গেলে দাদা পাব না’ ছিদামের এ কথায় অভিমানী চন্দরা দোষ না করেও শাস্তি মাথা পেতে নেয়।গত মঙ্গলবার থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঋতুভিত্তিক নাট্যমেলার তৃতীয় দিন মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প অবলম্বনে আহমেদ ইকবাল হায়দার নির্দেশিত কথক নাট্যসম্প্রদায়ের নাটক শাস্তি।ঋতুভিত্তিক নাট্যমেলা পরিষদের আয়োজনে ও ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘বাদল সাঁঝের নাটক-১৪২০’ শীর্ষক এই নাট্যমেলা শেষ হয় ৩ জুলাই। নাট্যমেলার চার দিনে চারটি নাটকের দলের পরিবেশনায় চারটি নাটক প্রদর্শিত হয়। নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দারের সভাপতিত্বে নাট্যমেলার প্রথম দিনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কবি অরুণ দাশগুপ্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ ঘোষ। এবারের অনুষ্ঠানে ‘সুখেন্দু স্মৃতি নাট্যপদক-২০১৩’ দেওয়া হয় গীতিকার ও সুরকার আবদুল গফুর হালীকে। এরপর কবিতা আবৃত্তি করেন রণজিত রক্ষিত। সন্ধ্যা সাতটায় ছিল তির্যক নাট্যদলের পরিবেশনায় রবীন্দ্রনাথের নাটক রক্তকরবী। এবার ছিল এই নাটকের ১১১তম মঞ্চায়ন।দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চমুকুট নাট্যসম্প্রদায় পরিবেশন করে আন্তন চেখভের নাটক বিয়ে। তৃতীয় দিন মঞ্চস্থ হয় কথক থিয়েটার পরিবেশিত নাটক শাস্তি। সমাপনী দিনে শুভ্রাসেন গুপ্তের পরিচালনায় নাচ পরিবেশন করে স্কুল অব অরিয়েন্টাল ডান্স। এরপর সন্ধ্যা সাতটায় নান্দিকারের পরিবেশনায় এস এম সোলায়মান রচিত এবং অলোক ঘোষ নির্দেশিত নাটক কোর্টমার্শাল মঞ্চস্থ হয়। |
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় কলেজছাত্র শাহিনুর ইসলাম হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র থেকে প্রধান আসামিকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাত মাস পর ১৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। মহেশখালী জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।মামলার বাদী শাহ আলমের অভিযোগ, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান আসামিসহ ১২ জনকে বাদ দিয়ে মনগড়া অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাটের একটি জমি নিয়ে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজেম উদ্দিন ও শাহ আলমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে গত বছরের ১৯ নভেম্বর সকালে প্রতিপক্ষের লোকজনের দায়ের কোপে শাহ আলমের ভাইপো ও কক্সবাজার সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম নিহত হন। পরে নিহতের চাচা শাহ আলম বাদী হয়ে নাজেম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৩ জুন আদালতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উল্লেখ্য, নাজেম উদ্দিন উপজেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।মামলার বাদী শাহ আলম বলেন, ‘সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নাজেম উদ্দিন প্রধান আসামি। তাঁর কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। কিন্তু আসামিদের সঙ্গে আঁতাত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রধান আসামি নাজেম উদ্দিনসহ ১২ জনের নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখে আমরা এ ব্যাপারে নারাজি দেব। এ ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নাজেম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার চার দিন আগে থেকে আমি ঢাকা ছিলাম। ঘটনার দিন সকালে রমনা মডেল থানায় আমি নিজেই একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। এর পরও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে শাহিনুরকে হত্যা করার পর আমাকে ওই মামলার প্রধান আসামি করে। পরে তদন্তে সাক্ষী-প্রমাণ না পাওয়ায় আদালতে পাঠানো অভিযোগপত্র থেকে তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে বাদ দেন।’মামলার বাদীর অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বর্তমান চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে কলেজছাত্র শাহিনুর হত্যার চূড়ান্ত অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট সাক্ষীপ্রমাণ না পাওয়ায় প্রধান আসামিসহ ১২ জনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে আসামিদের সঙ্গে আঁতাত করার প্রশ্নই ওঠে না। |
মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজবহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের জন্য বাংলা ১ম পত্র থেকে বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব। আগে নিজে চেষ্টা করবে।২১০।‘দুই মুসাফির’ গল্পে কোন সময়ের বর্ণনা করা হয়েছে?ক. চৈত্রের খ. বৈশাখের গ. গ্রীষ্মের ঘ. বসন্তেরসঠিক উত্তর: গ. গ্রীষ্মের।২১১। পথিকের হাতে একতারা কেন?ক. সুরময় গতির জন্য খ. আনন্দে পথ চলতেগ. বাউলমন তাই ঘ. গঞ্জে যাবেন বলেসঠিক উত্তর: গ. বাউলমন তাই।২১২। গল্পে‘মুসাফির’ শব্দটি কোন অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে?ক. ফকির অর্থে খ. পথিক অর্থেগ. রূপক অর্থে ঘ. সন্ন্যাসী অর্থেসঠিক উত্তর: গ. রূপক অর্থে।২১৩।‘দুই মুসাফির’ গল্পে শেষ উক্তি কোনটি?ক. চল, বাতাসে মিলিয়ে যাইখ. সুর আর সুধার পার্থক্য কতটুকুগ. আজ আমার সব আছে অথচ তোমার কিছুই নেই ঘ. আমাকে কেউ চেনে নাসঠিক উত্তর: গ. আজ আমার সব আছে অথচ তোমার কিছুই নেই।২১৪। স্বাধীনতার ডাকে আবদুর রবের বাঙালিচেতনা কিসের মতো বিশাল হলো?ক. নদীর মতো খ. আকাশের মতোগ. সমুদ্রের মতো ঘ. মাঠের মতোসঠিক উত্তর: গ. সমুদ্রের মতো।২১৫। নিচের কোনটি জলপথ?ক. হিরণ পয়েন্ট খ. রাঢ়ীখালগ. মহালছড়ি ঘ. হিমছড়িসঠিক উত্তর: গ. মহালছড়ি।২১৬। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কত নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন?ক. ১০ নম্বর সেক্টরে খ. ২ নম্বর সেক্টরেগ. ৫ নম্বর সেক্টরে ঘ. ১ নম্বর সেক্টরেসঠিক উত্তর: খ. ২ নম্বর সেক্টরে।২১৭।‘পাকিস্তানি শাসক এবং হানাদার বাহিনীকে বাংলা ছাড়তে হবে’ এই প্রতিজ্ঞা—ক. মুক্তিযোদ্ধাদের খ. মুন্সি আবদুর রবেরগ. রুহুল আমিনের ঘ. তরুণ যোদ্ধাদেরসঠিক উত্তর: ক. মুক্তিযোদ্ধাদের।২১৮। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সবচেয়ে বড় কী?ক. দেশপ্রেম খ. দেশের মানুষগ. দেশের স্বাধীনতা ঘ. যুদ্ধসঠিক উত্তর: গ. দেশের স্বাধীনতা।২১৯। রক্তের স্রোতে কী বন্ধ হয়ে গিয়েছিল?ক. খাল খ. নদী গ. বিল ঘ. নর্দমাসঠিক উত্তর: গ. বিল।২২০। ক্যাম্প কমান্ডার লেখকের দিকে কী এগিয়ে দিলেন?ক. অস্ত্র খ. কলম গ. ডায়েরি ঘ. খাতাসঠিক উত্তর: ঘ. খাতা।২২১। কোন নদীর পাশে অসংখ্য মৃতদেহের দৃশ্য দেখা যায়?ক. বুড়িগঙ্গা খ. পদ্মা গ. তিতাস ঘ. যমুনাসঠিক উত্তর: ক. বুড়িগঙ্গা।২২২। মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে দুই-ই এক;—কী?ক. অস্তিত্ব ও লক্ষ্য খ. অস্ত্র ও কলমগ. স্বপ্ন ও যুদ্ধ ঘ. অস্ত্র ও স্বাধীনতাসঠিক উত্তর: ক. অস্তিত্ব ও লক্ষ্য।২২৩। পুরোনো দালান ঘরে কতজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?ক. ৩০ জন খ. ৪০ জনগ. ২০ জন ঘ. ২৭ জনসঠিক উত্তর: ঘ. ২৭ জন।২২৪। অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা কাকে চিঠি লিখেছিল?ক. বাবাকে খ. ভাইকে গ. মাকে ঘ. বোনকেসঠিক উত্তর: গ. মাকে।২২৫। ফাইবার অপটিকসে আলো যায়—ক. আলো হিসেবে খ. তরঙ্গ হিসেবেগ. কম্পন হিসেবে ঘ. বৈদ্যুতিক সংকেতেসঠিক উত্তর: খ. তরঙ্গ হিসেবে। |
মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকাবহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের জন্য আজ দেওয়া হলো বাংলা ২য় পত্র থেকে ধাতু নিয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর।৩১. বিশেষ্য, বিশেষণ বা অনুকার অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে কী বলে?ক. নাম ধাতু খ. মৌলিক ধাতু গ. বিদেশি ধাতু ঘ. ণিজন্ত ধাতুসঠিক উত্তর: ক. নাম ধাতু।৩২. সাধিত ধাতু কয় প্রকার?ক. দুই প্রকার খ. তিন প্রকার গ. চার প্রকার ঘ. পাঁচ প্রকারসঠিক উত্তর: খ. তিন প্রকার।৩৩। ‘শিশুকে দুধ খাওয়াও’—‘খাওয়াও’ ক্রিয়াটি কোন প্রকারের ধাতু দ্বার গঠিত?ক. নাম ধাতু খ. প্রযোজক ধাতু গ. কর্মবাচ্যের ধাতু ঘ. কোনটিই নয়সঠিক উত্তর: খ. প্রযোজক ধাতু।৩৪. মৌলিক ধাতুর পরে ‘আ’ প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয় তার নাম কী?ক. সাধিত ধাতু খ. বিদেশি ধাতু গ. প্রযোজক ধাতু ঘ. বাংলা ধাতুসঠিক উত্তর: ক. সাধিত ধাতু।৩৫. নিচের কোন শব্দটি সাধিত ধাতুর উদাহরণ?ক. হের্ খ. কোন গ. পড়া ঘ. পড়্সঠিক উত্তর: গ. পড়া।৩৬. কোনটি নাম ধাতু?ক. ঘুম+আ খ. নাচ্+আ গ. খেল+এ ঘ. কৃ+আসঠিক উত্তর: ক. ঘুম+আ।৩৭. কোনটিতে প্রযোজক ধাতুর ব্যবহার ?ক. আজ তোমাকে গল্প শোনাব খ. ছেলেটিকে কাঁদাচ্ছ কেন গ. মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন ঘ. কাজটা ভালো দেখায় নাসঠিক উত্তর: গ. মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।৩৮. প্রয়োজক ধাতুর আরেক নাম কী?ক. সাধিত ধাতু খ. মৌলিক ধাতু গ. তৎসম ধাতু ঘ. ণিজন্ত ধাতুসঠিক উত্তর: ক. সাধিত ধাতু।৩৯. ‘হের ঐ দুয়ারে দাঁড়িয়ে কে ?—বাক্যে ব্যবহূত ‘হের’—ক. উপসর্গ খ. কর্মপ্রবচনীয় গ. ধাতু ঘ. অনুসর্গসঠিক উত্তর: গ. ধাতু।৪০. কোনটি মৌলিক ধাতু?ক. করা খ. দোলা গ. কাটা ঘ. দেখ্সঠিক উত্তর: ঘ. দেখ্।৪১. যেসব ধাতু বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সেগুলোকে বলা হয়—ক. সাধিত ধাতু খ. মৌলিক ধাতু গ. যৌগিক ধাতু ঘ. প্রযোজক ধাতুসঠিক উত্তর: খ. মৌলিক ধাতু।৪২. তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতুকে কী বলে?ক. সাধিত ধাতু খ. খাঁটি বাংলা ধাতু গ. সংস্কৃত মূল ধাতু ঘ. নাম ধাতুসঠিক উত্তর: গ. সংস্কৃত মূল ধাতু।৪৩. সংস্কৃত থেকে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে ব্যবহূত ধাতুর নাম কী?ক. সাধিত ধাতু খ. খাঁটি বাংলা ধাতু গ. যৌগিক ধাতু ঘ. প্রযোজক ধাতুসঠিক উত্তর: খ. খাঁটি বাংলা ধাতু।৪৪. বিদেশি ভাষা থেকে যেসব ধাতু বাংলা ভাষায় ব্যবহূত হয় তার নাম কী?ক. নাম ধাতু খ. মৌলিক ধাতু গ. বিদেশি ধাতু ঘ. ণিজন্ত ধাতুসঠিক উত্তর: গ. বিদেশি ধাতু।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল |
সাতকানিয়ায় কেরানিহাট শাহ আমানত (রহ.) হাইস মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন গত ৩০ জুন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচিতরা হলেন সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সহসভাপতি আব্দুচ ছোবহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বোহহান উদ্দিন ও অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক। এ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সদস্য আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মোহাম্মদ ইসহাক, আব্দুর রহিম, মো. দেলোয়ার হোসেন, রমিজ উদ্দিন ও মোহাম্মদ শাহ আলম। নির্বাচন পরিচালনা করেন উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক আব্দুল মান্নান। |
জ্যোৎস্না চাকমা, সম্পা চাকমা ও হীরা চাকমা জুরাছড়ি সমবায় সেনা সেলাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সেলাই শিখেছেন। বর্তমানে জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া বাজারে একটি সেলাইয়ের দোকান দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রের ১২তম ব্যাচের সেলাই প্রশিক্ষণ উদ্বোধনীতে এসে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের কথা জানালেন। রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ২০০৭ সালে বনযোগীছড়া ইউনিয়নে স্থাপিত হয় এ সেলাই প্রশিক্ষণকেন্দ্র। এ পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে প্রতি ব্যাচে ১৪ জন করে ১৫৪ জন অসহায় ও দরিদ্র নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ থেকে ১১তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের সেলাই যন্ত্রও দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ সূত্রে জানা গেছে।১২তম ব্যাচের সেলাই প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর জুরাছড়ি জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজিম উদ্দিন বলেন, পার্বত্য এলাকায় নারী সমাজকে উন্নয়নে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সেনা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নারীরা নিজেকে ও পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবেন। এ সময় বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, ১৪৫ নম্বর বনযোগীছড়া মৌজার হেডম্যান করুণাময় চাকমাসহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে ১৬ জন মহিলা অংশ গ্রহণ করছেন। |
দীর্ঘ ১২ বছর পর লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে সভাপতি পদে খোরশেদ আলম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সালাহ উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। খোরশেদ লোহাগাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এবং সালাহ উদ্দিন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। সভাপতি পদে অন্য দুজন প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ওমর ফারুক। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন জান মোহাম্মদ সিকদার ও মো. নুরুচ্ছফা। সম্মেলনে ২০৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২০১ জন ভোট দেন। এর মধ্যে খোরশেদ ৮৬ এবং সালাহ উদ্দিন ৭৪ ভোট পান। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৯ জুন লোহাগাড়ার বটতল এলাকার একটি সামাজিক কেন্দ্রে। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ কে এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। কমিটি নির্বাচনসংক্রান্ত দ্বিতীয় অধিবেশন গত ৩০ জুন চট্টগ্রাম নগরের জেএম সেন হলে মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। নেতা-কর্মীরা জানান, সম্মেলন কেন্দ্র করে এলাকায় কোনো ধরনের সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে নির্বাচনপর্ব নগরে আয়োজন করা হয়। মোসলেম উদ্দিন আহমেদ দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে কোন্দল মিটিয়ে দলকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন। আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের অপপ্রচার রোধে নেতা-কর্মীদের মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝাতে হবে।’ মফিজুর রহমান আরও বেশি সৃজনশীল ও কল্যাণমুখী রাজনীতি করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। সম্মেলনে স্থানীয় নেতারা বিগত দিনে জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা এবং সাংগঠনিক ক্ষেত্রে দলীয় অনৈক্যের বিষয় তুলে ধরেন। পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহরলাল চৌধুরী বলেন, দলীয় কোন্দল না মেটালে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আজীবন জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হবেন। কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, নতুন কমিটি দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন এবং কোন্দল মিটিয়ে কাজ করতে পারলে তবেই সফল হবেন। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের পর থেকে লোহাগাড়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এমনকি দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলোও ঠিকমতো পালিত হয়নি। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। |
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৩ হাজার আবেদনকারী বিদ্যুৎসংযোগ পাচ্ছে না। তাঁদের বেশির ভাগের অবস্থান প্রত্যন্ত এলাকায়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা ট্রান্সফরমারের ধারণক্ষমতার অজুহাতে সংযোগ বন্ধ রাখলেও তাঁদেরই যোগসাজশে পাশের মিটার থেকে সংযোগ নিয়ে অনেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের লাইন পরিদর্শক দশরত সরকার জানান, সমিতি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় আসার সময় রাঙ্গুনিয়ায় ১৫ হাজার গ্রাহক ছিল। ফলে পাড়া-মহল্লায় যেসব ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছিল তা ১৫০ থেকে ২০০টি সংযোগ দেওয়ার মতো। যা পূরণ হয়ে প্রতিটি ট্রান্সফরমারের বিপরীতে ৩০০ থেকে ৩৫০টি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অবাধে সংযোগ দেওয়া হলেও পরে তা কমিয়ে আনা হয়। এখন নতুন সংযোগ দিতে আরও বেশি ক্ষমতার ট্রান্সফরমার বসাতে হবে। উপজেলার চন্দ্রঘোনা বনগ্রামের গ্রাহক বদি আলম ও বেতাগীর ঢেমিরছড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ট্রান্সফরমার ধারণক্ষমতার অজুহাতে নতুন সংযোগ না দিলেও পাশের বাড়ির মিটার থেকে সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মিটারের প্রকৃত মালিক বিলের পাশপাশি আনুতোষিক খরচও আদায় করছেন। এ প্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পাশের মিটার থেকে নেওয়া কিছু সংযোগ থাকতে পারে। এ কারণেই ট্রান্সফরমার নষ্ট হচ্ছে। ফলে নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অবৈধ সংযোগের সঙ্গে সমিতির কেউ জড়িত নন।’ |
কক্সবাজারের পাহাড় নিধন ও সৈকত দখল করে অবকাঠামো নির্মাণকারী ১৯ ব্যক্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দায়ের করা পরিবেশ অধিদপ্তরের দুটি মামলা ফাইলবন্দী হয়ে পড়ে আছে। মামলা দায়েরের পর দেড় থেকে দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি শহরের কলাতলী সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন প্রতিবেশ সংকাটাপন্ন এলাকার পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের দায়ে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে একটি মামলা করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়ের করা ওই মামলার বাদী বেসরকারি পরিবেশবাদী সংগঠন ‘কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ’-এর সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল। মামলার এজাহারে উঁচু পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের দায়ে মোহাম্মদ ইদ্রিস, মুজিবুল ইসলাম, মো. শফিউল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও আবাসন কোম্পানি একর্ড হোল্ডিং লিমিটেড, আরএফ বিল্ডার্স লিমিটেড, এটলার্স আইকন প্রপার্টিজ লিমিটেডসহ ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়। অন্যদিকে সাগর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং সৈকত দখল করে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৫ আগস্ট সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই থানায় আরও একটি মামলা করা হয়। এই মামলার বাদীও ইব্রাহিম খলিল। এজাহারে ফকির গ্রুপ, সি-ওয়েভ, হোম স্টোন, কক্স টাইটানিক, ক্রাউন প্যাসিফিক, হোটেল সি-ক্রাউন, হোটেল বে প্যারাডাইসকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার বাদী ইব্রাহিম খলিল জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এই মামলাটি তদন্ত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক সাইফুল আশ্রাবকে দায়িত্ব দেন। তিনি সরেজমিন অনুসন্ধান করে একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে একটি আবেদন করেন। কিন্তু এর মধ্যে তাঁকে (সাইফুল আশ্রাব) ঢাকায় বদলি করা হলে দায়িত্ব পান আরেক পরিদর্শক হারুন অর রশিদ। কয়েক মাসের মাথায় তাঁকেও রাঙামাটি বদলি করা হলে তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পান পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। কিন্তু তিনিও মামলা দুটি তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে কয়েক মাস আগে ঢাকায় বদলি হন। বর্তমানে ওই কর্মস্থলে যোগদান করা সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম মামলা দুটির তদন্তভার গ্রহণ করলেও এ পর্যন্ত কিছুই করেননি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সরদার শরীফুল ইসলাম জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, এ কারণে তিনি মামলা দুটির তদন্ত কাজ শুরু করতে পারছেন না। তিনি ছাড়া এই কার্যালয়ে অন্য কোনো কর্মকর্তাও নেই। কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, আলোচিত মামলা দুটি ফাইলবন্দী হয়ে পড়ায় ভূমিদস্যুরা শহরের আরও ১১টি পাহাড় কেটে সাফ করে ফেলছে। এতে পরিবেশ প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পাহাড়ধসে গত দুই বছরে মারা গেছে ১২৭ জন। |
সন্দ্বীপ উপজেলার পৌরসভায় হারামিয়া কমপ্লেক্স এলাকায় অবস্থিত মোমেনা সেকান্দর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় চলছে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে। শিক্ষকসংকটের কারণে সন্দ্বীপের একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়টিতে মেয়েদের ভর্তি করাতে চান না অভিভাবকেরা।মোমেনা সেকান্দর উচ্চবিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে সন্দ্বীপের কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির প্রচেষ্টায় এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫ সালে জাতীয়করণের পর থেকে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৯০ সালে ছাত্রীসংখ্যা ছিল ৮০০ থেকে ৯০০-এর মতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালে নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যায় বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন। এরপর পৌর এলাকার অন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলে। এ সময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে আশঙ্কাজনক হারে।বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে হারামিয়া কমপ্লেক্স এলাকায় চারতলা নিজস্ব ভবনে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ দিলে আবারও শিক্ষার্থী ভর্তি হতে থাকে বিদ্যালয়টিতে। কিন্তু দুই বছরের মাথায় আটজন শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে গেলে শিক্ষকের সংখ্যা তিনে দাঁড়ায়। এর মধ্যে একজন শিক্ষক প্রেষণে চট্টগ্রামের একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। ফলে, দুজন শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের একজন শিক্ষক গত বছর ডিসেম্বর মাসে যোগদান করলেও তিনি সন্দ্বীপে থাকেন না বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরাও ভর্তি হতে আগ্রহী হয় না। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৮৬।বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মো. তৈয়ব ও ইসলামি শিক্ষার শিক্ষক ওহিদুল হক নূরীকে সব বিষয়ে পাঠদান করতে হয়। গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।মো. তৈয়ব বলেন, ‘শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদের দুজনকে অন্য বিষয়গুলো পাঠদান করতে হচ্ছে। এতে মানসম্মত পাঠদান হচ্ছে না। আমাদের ওপরও চাপ পড়ছে।’বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওহিদুল হক। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। একাধিকবার চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র জাফর উল্ল্যা বলেন, সন্দ্বীপের মতো দ্বীপাঞ্চলে শিক্ষকেরা থাকতে চান না। এ কারণে দ্বীপাঞ্চলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, সরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। সন্দ্বীপের মতো দ্বীপাঞ্চলে শিক্ষক নিয়োগ দিলেও তাঁরা থাকতে চান না। এ ক্ষেত্রে যাঁরা সন্দ্বীপের স্থায়ী বাসিন্দা, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। |
সোশ্যাল বিজনেস পরিকল্পনা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৮ জুন ঢাকার রেডিসন হোটেলে ইউনূস সেন্টার আয়োজিত ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কচুরিপানা থেকে ঘরের আসবাবপত্র তৈরির ধারণা দেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ মেধাবী শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন মো. আমিরুল ইসলাম, মো. রকিবুল হাসান, মো. শাফিউল ওয়াফি, সুমাইয়া মেহেজাবিন ও তানজিদা আফরিন।পরিকল্পনায় শিক্ষার্থীরা জানান, কচুরিপানা থেকে তৈরি আসবাবপত্র দারিদ্র্য বিমোচনে সহযোগিতা করতে পারে। এতে দেশের কর্মসংস্থান বাড়বে, কমবে পরিবেশ দূষণ। একই সঙ্গে সামাজিক সমস্যা দূর হবে। স্বাবলম্বী হবেন গ্রামীণ মহিলারা।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পরিকল্পনা জমা দেন। সেখান থেকে নর্থ সাউথ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ দলকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্ট ডেল্টার দল। এর আগেও ২০১২ সালে একই প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিলেন ইস্ট ডেল্টার শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তি। |
মহেশখালী পৌরসভা গ শ্রেণী থেকে খ শ্রেণীতে উন্নীত করার পেছনে বিশেষ অবদান রাখা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম সফর উপলক্ষে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে স্থানীয় নাগরিক কমিটি।পৌর এলাকার দীঘির পূর্ব পাড়ে গত ২০ জুন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অভিনাশ চন্দ্র দের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সাবেক পৌর প্রশাসক এম আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির কাসেম চৌধুরী, শফিউল আলম, এনামুল হক চৌধুরী, সিরাজুল মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সালেহ আহমদ, কাউন্সিলর জামালুর রশিদ, শ্রমিক নেতা আতাউল্লাহ বোখারী, যুবলীগ নেতা নাছির উদ্দিন ও নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মাহমুদুল হক। পরে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পৌর মেয়রকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন নাগরিক কমটির সদস্য নুরুল আলম। মেয়রের গণসংবর্ধনাকে ঘিরে সড়কে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। |
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এখনো খাদ্যগুদাম প্রতিষ্ঠা হয়নি। উপজেলায় উন্নীত হওয়ার পর ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরটির জন্য কোনো কর্মকর্তাও পেকুয়ায় দেওয়া হয়নি। উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘পেকুয়া উপজেলায় খাদ্যগুদাম না থাকায় খুব কষ্টে আছি। ভিজিডি, ভিজিএফ, টিআর ও কাবিখার চাল-গম চকরিয়া অথবা রামু উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে আনতে হচ্ছে। তার জন্য অতিরিক্ত পরিবহন খরচও গুনতে হয়। আর তা বহন করতে হচ্ছে নিজেদেরই।’এ ব্যাপারে শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন বলেন, ‘চকরিয়া থেকে চাল আনতে চার গুণ খরচ বেশি পড়ে। এ ছাড়া চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়নের কাজ ফেলে কর্মকর্তারা আমাদের কাজ করতে চান না। প্রচুর সময়ও চলে যায় চাল ছাড়িয়ে আনতে। এতে ভোগান্তি বাড়ে। বর্ষায় চকরিয়া খাদ্যগুদামের সামনের অংশ ডুবে যায়। তাতে ভিজিডি, ভিজিএফ চাল আনতে অনেক দেরিও হয়ে যায়। এলাকার দুস্থ ও গরিব লোকজনের তখন কষ্টের সীমা থাকে না।’ পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, জেলা সমন্বয় সভায় একাধিকবার খাদ্যগুদামের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া চিঠিও লেখা হয়েছে একাধিকবার কিন্তু কোনো উত্তর আসছে না। |
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র ‘সোয়াম ফরেস্ট’ (জলবন) খ্যাত রাতারগুল। এটিকে ১৯৭৩ সালে সংরক্ষিত ঘোষণা করে বন বিভাগ। চারদিকে নদী ও হাওরবেষ্টিত এ বনের বেশির ভাগই এলাকাজুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা হিজল-করচগাছ। ‘সিলেটের সুন্দরবন’ খ্যাত প্রায় ৩৩১ একর আয়তনের রাতারগুল বনে বর্ষাকালে পর্যটকদের ভিড় ব্যাপকভাবে লক্ষ করা যায়। কিন্তু দুঃখের সংবাদ হলো, পর্যটকদের প্রিয় জলাবন রাতারগুল বনে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের দ্বারা গাছ কাটা চলছেই। এই চক্র সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে হিজল-করচগাছ নিধন করে সংরক্ষিত বনের ক্ষতি করেই চলেছে। শুধু নিজেদের লাভের আশায় এই চক্র সামগ্রিকভাবে বনের ক্ষতি করে চলেছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা হিজল-করচগাছ উজাড়ে এ প্রবণতা বন্ধ না হলে অচিরেই জলাবন ঝুঁকির মুখে পড়বে। এর ফলে বনে পর্যটকদের আনাগোনা কমে যেতে পারে। তাই দেশের বনাঞ্চল এবং পর্যটন খাতের বিকাশে সংঘবদ্ধ চক্রের গাছ কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। |
গত ৩০ জুন প্রথম আলোয় প্রকাশিত মিজানুর রহমান খান রচিত ‘স্পিকার, ড. মিজানের কমিশন ও লিমন’ নিবন্ধের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য নিচে দেওয়া হলো: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য এবং চারজন সদস্যকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ১৮.০৬.২০১৩ তারিখের আইন-বিবিধ-১৬/০৮ (অংশ-১)-৫৩৮ থেকে ৫৪০ নম্বর স্মারকের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করেছেন। মানবাধিকার, শিক্ষা, সমাজসেবা ও মানবকল্যাণে অবদানের জন্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বর্তমানে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওয়ার্ল্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ডাকসুর একমাত্র নির্বাচিত নারী ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানমকে কমিশনের নতুন সদস্য হিসেবে আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ১৮.০৬.২০১৩ তারিখের আইন-বিবিধ-১৬/০৮ (অংশ-১)-৫৪১ নম্বর স্মারকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করেছেন। তিনি নিজ মেধা ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়ে এ নিয়োগ পেয়েছেন বলে কমিশন মনে করে। কমিশন এ-ও মনে করে যে দ্বিতীয়বারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য এবং চারজন সদস্যসহ নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যের নিয়োগ যথাযথ পদ্ধতিতে আইনের বিধান অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার কমিশন আশা প্রকাশ করে, এরপর সব বিভ্রান্তির অবসান হবে এবং মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সব মহল কমিশনের প্রতি সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ। |
পিতা গড়ে দেহ, শিক্ষক গড়ে মন/পিতা বড় নাকি শিক্ষক বড়, বলিবে কোন জন’ কবিতার এই লাইনগুলোর সত্যতার প্রমাণ মেলে শিক্ষাজীবনের শুরুতেই। স্কুল ও কলেজজীবনে বারবার লাইনগুলোর যথার্থতা অনুভব করতে হয়। শিক্ষকের ভূমিকা বাবার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একশ্রেণীর শিক্ষক তৈরি হয়ে গেছে, যাঁরা শিক্ষকতা পেশার চেয়ে ‘রাজনৈতিক স্বার্থ’ হাসিল নিয়েই ব্যতিব্যস্ত থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বেশি। শিক্ষকতার চেয়ে রাজনীতিই এখানে যোগ্যতার মাপকাঠি। ক্ষমতা আর দলাদলিতেই ব্যস্ত ‘মানুষ গড়ার এই কারিগরেরা’। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের চেয়ে অধিক পছন্দ তাঁদের শিক্ষক ক্লাবে বসে রাজনীতির নতুন ছক আঁকা।সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের পিছু ছাড়ছে না। এখানে শিক্ষার নেই সুষ্ঠু পরিবেশ। দিনের পর দিন শিক্ষক রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। ছোটখাটো বিষয়কে পুঁজি করে শিক্ষকেরা কীভাবে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে পারেন, জাহাঙ্গীরনগরের দিকে না তাকালে তা বোঝাই মুশকিল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, ভূমিকা, ১৯৭৩ অ্যাক্ট সবই আজ প্রশ্নের মুখোমুখি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাতের চেয়েও এই দায় বেশি বহন করতে হবে শিক্ষকদের।গত বছর ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হতে হয়। যথাযথ বিচার না হওয়া এবং শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বড় অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য পদ ছাড়েন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন নির্বাচিত উপাচার্য হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর দায়িত্বকালীন নানা ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দ্বারা শিক্ষকদের বাসা ও প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর, উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র কর্তৃক ছাত্রীদের শারীরিক লাঞ্ছনা, হল প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়েছে। যৌক্তিক দাবিতে যেকোনো ধরনের আন্দোলনের অধিকার সবারই রয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সমস্যা সমাধানের চেয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিকে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বড় করে দেখছেন।অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গত এক বছরে শিক্ষকেরা চারবার আন্দোলনে নেমেছেন। আর এই চারবারই শিক্ষকদের আন্দোলন উপাচার্য পদত্যাগের দাবিতে পরিণত হয়। দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, এসব ক্ষেত্রে অন্যায়ের প্রতিকারের চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থই বড় হয়ে ওঠে বারবার। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক এক শিক্ষককে লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও এখন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতেই অনড় শিক্ষকেরা। অনেক শিক্ষকের মনোযোগ বিভিন্ন ‘পদ’-এর দিকে। এর আগেও উপ-উপাচার্য পদ শূন্য হলে শিক্ষকেরা ভিন্ন ইস্যুতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে শিক্ষকেরা একই পথ অবলম্বন করেন। এখন আবারও শিক্ষক লাঞ্ছনার যথাযথ বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রায় অর্ধমাস সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। যার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। সেশনজট বাড়ছে দিনে দিনে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার যথাসময়ে বাস্তবায়নের নেই কোনো সম্ভাবনা।বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শিক্ষকেরা কর্মবিরতি শেষ করে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন। ঝুলিয়ে দেন তালা। শিক্ষকদের বাধার কারণে প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে পারছেন না। যার ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেট, সিনেট, শিক্ষা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে না শিক্ষকদের একটি অংশের বাধায়। শিক্ষকদের বাধায় গত ২০ ও ২১ জুন অনুষ্ঠিত হয়নি সিন্ডিকেট সভা ও বার্ষিক সিনেট অধিবেশন। যেখানে গত বছরের সংশোধিত ও চলতি বছরের বাজেট পাসের কথা ছিল। গত ২৬ জুন বোর্ড অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ এবং শিক্ষা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হতে পারেনি শিক্ষকদের বাধার কারণে। এই সভায় মুখ্যত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ২৭ জুন বেতন নেওয়ার জন্য ঠিকই অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। এ কেমন খেলা? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সকাল সাতটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে বসে থেকে তাঁদের রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে এসে ক্লাস না করেই ফিরে যাচ্ছেন। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করে উপাচার্যকে চাপে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা সৃষ্টি করে শিক্ষকদের কেউ কেউ রাজনৈতিক হিসাব মেলাতে চাইছেন, আবার কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে উঠেপড়ে লেগেছেন। এভাবে চলতে থাকলে গরিব মানুষের পয়সায় চলা বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুতই পড়বে মুখ থুবড়ে। পবিত্র এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন সবার। উপাচার্যের ত্রুটি থাকলে সমালোচনার সুযোগ যথেষ্ট রয়েছে। ভ্রম সংশোধনে উপাচার্যকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা সহায়তাও করতে পারেন উদার চিত্তে। আন্দোলনের নামে সময় ও শিক্ষাজীবনের এই ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না। মেহেদী হাসান, বিপ্লব দাস, সাইদুর রহমান, সাজ্জাদুল আলম: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। |
সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর প্রায় আড়াই মাস পার হতে চলল। কয়েক হাজার পরিবারের আহাজারি আর বিলাপ কিছুমাত্র কমেনি। নিহত ও গুরুতর আহত পোশাকশ্রমিকদের স্বজনদের এ সময়ে টিকে থাকা, বেঁচে থাকার পথই অনিশ্চিত। যাঁরা আহত হয়ে বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকে পুরোই অন্ধকার দেখছেন চোখে। ‘মরে যাওয়াই ভালো ছিল’—এ রকমই যেন তাঁদের এখনকার হাহাকার। গত বছরের নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডের পরই যেখানে সরকার, মালিক, বিজিএমইএ, ক্রেতাদের একটু সংযত হওয়ার কথা, নিজেদের স্বার্থে হলেও টেকসই শিল্প গড়ে তোলার জন্য দূরদৃষ্টি নিয়ে পোশাকশিল্পের শ্রমিকের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার কথা, সেখানে এটা একটা অবিশ্বাস্য ঘটনা যে রানা প্লাজার মতো দুনিয়া কাঁপানো ও দেশ কাঁদানো ট্র্যাজিক ঘটনার পরও ভাবভঙ্গির কোনো পরিবর্তনই দেখা যাচ্ছে না। নইলে এটা কী করে সম্ভব যে লাশের পাহাড় তৈরি করেও তিন মাস পার হয়ে যাচ্ছে, এখনো ক্ষতিপূরণের কোনো ঘোষণা নেই? শিল্প পুনর্বিন্যাসের যথাযথ উদ্যোগ নেই? প্রধানমন্ত্রী বিভিন্নজনের কাছে চাঁদা তুলে কিছু টাকা একাংশের হাতে দিয়েছেন। এক হাজার ১৩১ নিহত ব্যক্তির পরিবার এবং আহত-পঙ্গু ব্যক্তিদের অধিকাংশ সেটাও পাননি। প্রধানমন্ত্রী যা দিয়েছেন, এবং হয়তো সামনে আরও দেবেন, এটাকে প্রাথমিক সহায়তা হয়তো বলা যায়। কিন্তু ক্ষতিপূরণের কী হলো?মানুষের জীবনের কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। কিন্তু যখন কারও অপরাধে অন্য কারও জীবন যায়, কিংবা অচল হয়ে পড়ে কেউ, তখন ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন আসে দুটো কারণে। প্রথমত, নিহত হওয়ার কারণে তাঁর পরিবারের যে অসহায় অবস্থা, তা আর্থিকভাবে কিছুটা সামাল দেওয়া এবং দ্বিতীয়ত, অপরাধী ব্যক্তির জন্য একটা আর্থিক চাপ তৈরি করা, যাতে ভবিষ্যতে অন্যরা একই ধরনের অপরাধ না করে। তাজরীন ফ্যাশনসের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছিল সাত লাখ টাকা করে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল ও মন্ত্রণালয়ের টাকা অর্থাৎ জনগণের টাকাও আছে। বিজিএমইএ ও ক্রেতারা আছে, কিন্তু মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কোনো টাকার কথা শোনা যায়নি। এখনো নিখোঁজ কয়েকজনের ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান বাকি আছে। আহত ব্যক্তিদের অনেকের চিকিৎসার খবর নেই। রানা প্লাজার ভয়ংকর ঘটনার পর বিজিএমইএর নেতারা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, ক্ষতিপূরণের অর্থ অন্তত তাজরীনের চেয়ে কম হবে না। বেশিই হবে। বলেছেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব তাঁদের। সংবাদমাধ্যমে যত দিন বেশ লেখালেখি চলছিল, তত দিন এসব কথা শোনা গেছে, সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি কমে যাওয়া বা প্রায় বন্ধ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে তাঁদের কথা আর কাজে যথারীতি ব্যাপক ফারাক। তাঁরা কী আশা করছেন? সময়ে সবাই ভুলে যাবে? দেশের আরও অঘটনে চাপা পড়ে যাবে তাঁদের সব কলঙ্ক?ক্ষতিপূরণ কত হওয়া উচিত, সেটা নিয়ে নানা হিসাব আছে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষারত কয়েকজন প্রবাসী শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি ও দেশের বিদ্যমান মজুরিকাঠামো বিশ্লেষণ করে ক্ষতিপূরণের একটি ছক দিয়েছেন। তাতে ক্ষতিপূরণ দাঁড়ায় সর্বনিম্ন প্রায় নয় লাখ থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৫৪ লাখ টাকা। (প্রথম আলো, ২৭ মে, ২০১৩)। তাজরীন ফ্যাশনসের সময়েই আমরা দেখেছিলাম, ১৮৫৫ সালের চরম দুর্ঘটনা আইন অনুযায়ী গড়ে কম করে ধরলেও ক্ষতিপূরণ দাঁড়ায় ৪৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে আইএলওসহ আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মজুরিকাঠামো বিবেচনা করে পরিবারপ্রতি ক্ষতিপূরণ দাঁড়ায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। অনুপাত অনুযায়ী, সরকার শতকরা ৯ ভাগ, বিজিএমইএ শতকরা ১৮ ভাগ, মালিক ২৮ ভাগ এবং ব্র্যান্ড বিক্রেতা-প্রতিষ্ঠান শতকরা ৪৫ ভাগ বহন করবে।রানা প্লাজার ভয়ংকর জীবননাশের পর দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে বহু সভা-সম্মেলন হচ্ছে, অনেক রকম প্রতিশ্রুতিও শোনা যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে টাকাও উঠেছে। কিন্তু শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি বিজিএমইএ বা সরকার। কদিন আগে বাজেট পাস হলো। খুবই স্বাভাবিক ছিল, এই বাজেটে পোশাকশিল্প খাতের জন্য সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রূপরেখা থাকবে। কিন্তু বাজেটে এ ধরনের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। অথচ পোশাকশিল্প খাতের ভঙ্গুর দশার জন্য সরকারের দায় অনেকখানি। ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টরদের এখনো যা সংখ্যা ও ক্ষমতা, তাতে পোশাকশিল্প খাতের তত্ত্বাবধানে সরকারের যে কোনো আগ্রহ নেই, সেটাই বোঝা যায়। ছেড়ে দেওয়া আছে মালিকদের যথেচ্ছাচারের ওপর। কিন্তু কারখানা যদি ভুল স্থান ও ভুল ভবনে স্থাপিত হয়, যদি সেখানে মুনাফার সীমাহীন লোভে ব্যক্তি মালিক শ্রমিক-নিরাপত্তার ন্যূনতম ব্যবস্থা না রাখেন, তাহলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারেরই। এই কাজ না করলে শিল্প মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয় আছে কেন? দুর্যোগ মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসকে শক্তিশালী করার বড় পরিকল্পনা খুবই স্বাভাবিক ছিল, বাজেটে তারও প্রতিফলন নেই।এর মধ্যে পোশাকশিল্প খাতকে শায়েস্তা করার ঘোষণা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছেন। এটা এক অদ্ভুত ঘোষণা। কারণ, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প খাত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো জিএসপি বা শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পায় না, কখনোই পায়নি। বরং অন্য অনেক দেশের তুলনায় ৫ থেকে ১৫ গুণ বেশি শুল্ক দিয়ে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করে। এ রকম বৈষম্যমূলক ও সংরক্ষণবাদী শুল্কনীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার বা বিজিএমইএকে কখনো কথা বলতে শুনিনি। বরং তারা সব সময় হাতে-পায়ে ধরার পথেই আছে। যা বাংলাদেশ পায় না, সেটাই স্থগিত করার অর্থ কী? সংগত কারণেই পোশাকশিল্পকে শায়েস্তা করার কথা বলে জিএসপি স্থগিত করায় পোশাকশিল্পের রপ্তানি কমারও সম্ভাবনা নেই। পোশাকশিল্পের মুনাফার বড় ভাগীদার ব্র্যান্ড ও বায়িং হাউস। তারাও নিজেদের স্বার্থেই রপ্তানি নিশ্চিত করবে। কিন্তু ক্ষতির মুখে পড়ছে বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে অন্যগুলো, যেমন প্লাস্টিক, সিরামিক, খাদ্য, মানুষের চুল, পাখির পালক, খেলনা ইত্যাদি। এগুলো মোট রপ্তানির শতকরা ১ ভাগেরও কম। এগুলো উদীয়মান শিল্প, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অভিযোগ এদের বিরুদ্ধে শোনা যায়নি। অথচ তারাই শাস্তিপ্রাপ্ত।রপ্তানি কমার সম্ভাবনা না থাকলেও, মার্কিন ঘোষণার কারণে, পোশাকশিল্প খাতে এখন ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের বিভিন্ন স্তর থেকে দর-কষাকষির ক্ষমতা বাড়বে। তারা মার্কিন এই শাস্তির সূত্র ধরে আরও দাম কমানোর চাপ দিতে পারে। দাম কমানোর পর নিজের মুনাফা ধরে রাখতে মালিকেরা প্রয়োজনীয় কাজে খরচ আরও কমানোর পথে যেতে পারেন। জিএসপি ভয় দেখিয়ে মালিকদেরও শ্রমিকদের সঙ্গে দর-কষাকষির ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হলো। প্রকৃত মজুরি কমাতেও নানা কায়দা-কানুন দেখা যাবে। সবার মুনাফা রক্ষা করতে গিয়ে শ্রমিকের ওপর সব চাপ ফেলার এই ধারা বরাবর চলছে, সেটাই আরও জোরদার করার অবস্থা তৈরি করল ওবামা সরকার। অর্থাৎ শ্রমিক স্বার্থের কথা বলে জিএসপি স্থগিত করলেও শ্রমিকদের জন্য নতুন হুমকি তৈরি করল তারা।এটা নিশ্চিত যে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বর্তমানের অবস্থায় চলতে পারবে না। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সঙ্গে যুক্ত একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী সেখানকার এক পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বর্তমানে এই শিল্পে ভারত ও শ্রীলঙ্কার বায়িং হাউস ও কর্মকর্তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। যৌথ বিনিয়োগ আছে। প্রায় ৪০০টি ভারতীয় বায়িং হাউস কাজ করছে এখানে। সাব-কন্ট্রাক্টও দিচ্ছে তারা বাংলাদেশে। (দ্য হিন্দু বিজনেসলাইন, জুন ৩, ২০১৩) পাশাপাশি ভারত তার দেশে পোশাকশিল্পগুকে একটি শক্তপোক্ত জায়গায় দাঁড় করাতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পাটশিল্পের মতোই এই পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন ভারতকে পোশাকশিল্পের ক্ষেত্রেও শক্তিশালী জায়গায় প্রতিষ্ঠা করবে।একটি শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ অবকাঠামো আর শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম শ্রমিকের জীবন ও নিরাপত্তা ছাড়া কিছু লোক কিছুদিন মুনাফার পাহাড় গড়তে পারে, কিন্তু শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি স্থগিত নিয়ে মাতামাতি, দোষারোপ, কাকুতি-মিনতি আর হাতে-পায়ে ধরে কোনো ফল হবে না। এমনিতেও পোশাকশিল্প কোনো জিএসপি সুবিধা পায়নি, মার্কিন বাণিজ্যনীতি অনুযায়ী ভবিষ্যতেও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় নতুন নতুন বাজার সন্ধান করতে হবে। সর্বোপরি, পোশাকশিল্প সাবালক কাঠামোয় স্থাপন করার জন্য একটি সামগ্রিক পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। তার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ দরকার। নিহত ও আহত শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিপূরণ, গ্রহণযোগ্য ন্যূনতম মজুরি, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন এবং সে সঙ্গে কারখানা ও শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা তার প্রাথমিক ধাপ। আনু মুহাম্মদ: অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। |
একটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল সরকারের পতন ঘটাবে না বা বিরোধী দলকেও ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে নিয়েছে বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে। স্থানীয় সরকার সংস্থার এই নির্বাচনে স্থানীয় সমস্যা ছাপিয়ে জাতীয় রাজনীতিই মুখ্য হয়ে উঠেছে। দুই প্রধান দলের বাঘা বাঘা নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন, কিন্তু কেউ গাজীপুরের সমস্যা ও এলাকাবাসীর অভাব-অভিযোগ নিয়ে কথা বলছেন না। উভয় পক্ষ ভাবছে, গাজীপুরে না জিতলে আগামী নির্বাচনের বৈতরণি পার হওয়া অসম্ভব হবে।গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান ও বিএনপির এম এ মান্নান। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে পরিত্যক্ত স্বৈরাচারের দল জাতীয় পার্টি ও অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার লিখেছেন, তাদের নিয়ে দুই প্রার্থী টানাটানি শুরু করেছেন। আর জাতীয় পার্টির নেতা এরশাদ রীতিমতো পীর বনে গেছেন। দুই প্রার্থীই তাঁর কাছে গিয়ে দোয়া মাঙছেন। পরিত্যক্তকে নিয়ে তখনই টানাটানির প্রয়োজন হয়, যখন নিজের পায়ের তলায় মাটি থাকে না। নব্বইয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে স্বৈরাচারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেই স্বৈরাচারকে সঙ্গে পেতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে।ধর্মের কার্ড ব্যবহার: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার কমবেশি সব সময়ই ছিল। কিন্তু সদ্য অনুষ্ঠিত চার সিটি করপোরেশন এবং ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে তা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দেড় দশক ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে আসছে এমন একটি সংগঠনের প্রধান চার সিটির নির্বাচন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, অতীতে কোনো নির্বাচনে এভাবে ধর্মের কার্ড ব্যবহূত হয়নি। বিশেষ করে, বিরোধী দলের সমর্থক প্রার্থীর সমর্থনে সংগঠনবিশেষের নারী কর্মীরা নারী ভোটারদের কাছে যেভাবে ধর্মরক্ষার দোহাই দিয়েছেন, তাতে বিস্মিত হতে হয়। প্রকাশ্য সভায় কেউ এসব কথা বললে তাঁর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা যেত। কিন্তু এসব প্রচারণা হয়ে থাকে ঘরে ঘরে, অন্দরমহলে। সেখানে প্রচারকেরা কার বিরুদ্ধে ধর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন, তা সাধারণের জানার উপায় নেই। ক্ষমতাসীন দলের একজন জনপ্রিয় নারী সাংসদ জানালেন কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনেও তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি যখন নারী ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন, তখন তাঁরা জবাব দিয়েছেন, ‘আপনাদের সমর্থক প্রার্থীকে ভোট দিলে ধর্ম থাকবে না।’গাজীপুরের নির্বাচনেও মহলবিশেষ ধর্ম থাকা না-থাকার বিষয়টি সামনে এনেছে। তাহলে আমাদের গণতন্ত্র এগিয়েছে, তা বলা যায় না। এ কথাও সত্য যে ক্ষমতাসীন দলটি যদি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে আন্তরিক হতো, দুর্নীতি ও দলীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, তাহলে ধর্মের কার্ড তেমন কাজে আসত না।দলের ব্যর্থতা বনাম প্রার্থীর সাফল্য: অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, গাজীপুরের ভোটের ফল চার সিটি নির্বাচন থেকে ভিন্ন হতে পারে। প্রথমত, এলাকাটিতে আওয়ামী লীগের ভোটারদের পাল্লা ভারী। গত তিনটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয়ত, গাজীপুরেই কয়েক লাখ পোশাকশ্রমিক আছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের জীবনাভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পেরেছেন যে কারা তাঁদের পক্ষে আছেন এবং কারা রুটি-রুজি বন্ধ করতে চাইছেন। আবার অন্য পক্ষ বলছে, আওয়ামী লীগ শুরুতে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের ঘটনা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দলের সমর্থকেরা বিভক্ত ও বিভ্রান্ত। ব্যালট বাক্সে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ও প্রতীক থাকছে। তদুপরি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের ভোট বিএনপির পক্ষে গেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়ী হওয়া কঠিন হবে। তবে এ-ও সত্য যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর গায়ে কাদা নেই। তিন তিনবার তিনি সাফল্যের সঙ্গে টঙ্গী পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে, বিএনপির প্রার্থী একবার প্রতিমন্ত্রী হয়েই নানা দুর্নাম কামিয়েছেন। করখেলাপির দায়ে তাঁর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।এখন দেখার বিষয়, স্থানীয় সরকার সংস্থার এই নির্বাচনে প্রার্থীর গুণাগুণ বিচার হবে, না জাতীয় রাজনীতি অগ্রাধিকার পাবে। প্রথমটি হলে আওয়ামী লীগের জয়ের সম্ভাবনা আছে, দ্বিতীয়টি হলে বিএনপির।অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগ: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দুই দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। সরকারি দলের দাবি, বিরোধী দল প্রচুর টাকা ছড়াচ্ছে ভোটারদের মধ্যে। আর বিরোধী দল বলছে, সরকারদলীয় লোকদের নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে গাজীপুর থেকে একজন সাংবাদিক বন্ধু জানিয়েছেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা-কর্মী। হতে পারে এই অভিযোগ বিরোধী দলের মনস্তাত্ত্বিক চাপ। চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই চাপ সৃষ্টি করে তাঁরা সফল হয়েছেন।এর বিপরীতে ক্ষমতাসীন দল যদি মনোবল হারিয়ে ফেলে এবং প্রশাসনকে সত্যি সত্যি প্রভাবিত করতে চায়, সেটি হবে আত্মঘাতী। সুষ্ঠু নির্বাচনের পর গাজীপুরে তারা জয়ী না হলেও এই সান্ত্বনা থাকবে যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবশ্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তিনি আরেকটি মাগুরা হতে দেবেন না। দেশবাসীও গাজীপুরে আরেকটি মাগুরা দেখতে চায় না।জনপ্রিয়তার মাপকাঠি: ভোটের হিসাবে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের অবস্থান বরাবরই মজবুত। এমনকি ২০০১-এর ভূমিধস বিপর্যয়ের মধ্যেও আওয়ামী লীগ গাজীপুরের তিনটি আসন রক্ষা করতে পেরেছিল। এবারে ভোটের ফল কী হবে? কে হবেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র—আজমত উল্লা খান, না এম এ মান্নান—তা জানতে আমাদের ৬ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকাটি গাজীপুরের পাঁচটি নির্বাচনী এলাকারই কিছু কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। এই পাঁচ নির্বাচনী এলাকায় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ছিল বিশাল। গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছিলেন দুই লাখ ৬১ হাজার ৩০৪ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী পেয়েছিলেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৫ ভোট। গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছিলেন দুই লাখ ৬৪ হাজার ৭১০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী পেয়েছিলেন এক লাখ ৩৯ হাজার ২৭৮ ভোট। গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছিলেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৪ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী পেয়েছিলেন এক লাখ আট হাজার ৯১৫ ভোট। গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছিলেন এক লাখ ১০ হাজার ৬৮২ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৪৬৬ ভোট। গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছিলেন এক লাখ ২৬ হাজার ২৯৮ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ১১৮ ভোট।সাড়ে চার বছরের ব্যবধানে যদি এই দৃশ্য সম্পূর্ণ উল্টে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, ক্ষমতাসীন দলটি নিজেদের কতটা অজনপ্রিয় করে ফেলেছে। আর যদি শত বিপত্তি সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ গাজীপুরের বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারে, তাহলে বুঝতে হবে জনগণ এখনো পুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে নেয়নি।গাজীপুরের প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে: ৬ জুলাই নির্বাচনে কে মেয়র হবেন, সেটি নির্ধারণ করবেন ভোটাররা। সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রতিযোগী দলগুলোর দায়িত্ব ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা। এর ব্যত্যয় হলে আগামী নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট আরও ঘনীভূত হবে। ক্ষমতাসীনদের হ্রাসমান ভাবমূর্তি তলানিতে এসে ঠেকবে। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে অনতিক্রম্য দূরত্ব তৈরি হবে, যার পরিণাম আমরা ২০০৭ সালে দেখেছি। তাই আমাদের প্রার্থনা, নির্বাচনে যিনিই জয়ী হোন না কেন, গণতন্ত্র যেন পরাজিত না হয়; নির্বাচন কমিশন যেন কলঙ্কিত না হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করবে তা-ই নয়, জাতীয় রাজনীতিকেও প্রভাবিত করবে। বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তারও স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাবে গাজীপুরে। এ কারণেই গাজীপুরের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ।চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিজয়ের পর বিএনপি বেশ আত্মবিশ্বাসী। স্থানীয় জাতীয় পার্টি ও হেফাজতে ইসলাম তাদের এই আত্মবিশ্বাসকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, এই নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারলে দলীয় কর্মীদের মনোবল টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। জাতীয় নির্বাচনেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই নির্বাচনে জয়ের জন্য দুই দলই সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনও কোনো দলের কাছে এতটা গুরুত্ব পায়নি।আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বোধোদয়: পত্রিকায় দেখলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আওয়ামী লীগের সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব বিলম্বে হলেও বুঝতে পারছেন যে নারায়ণগঞ্জে তাঁদের ভাষায় ‘বিজয়ী ও রানারআপ প্রার্থী’ দুজনই দলকে এগিয়ে নিতে পারেন না, একজন পারেন। যিনি পারেন, তিনিই গাজীপুরে ভোটারদের কাছে গিয়েছেন। যিনি পারেন না, তাঁকে শীর্ষ নেতৃত্ব পাঠাতে সাহস পাননি। সব ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের এই বোধোদয় জারি থাকলে হয়তো দল হিসেবে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক আত্মহত্যা থেকে রেহাই পাবে। সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।sohrab03@dhaka.net |
অটোয়াপ্রবাসী বাঙালিদের উপস্থিতিতে পাঠচক্র ও আড্ডার পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুলাই রোববার। সময় বিকেল দুইটা-চারটা। আলোচ্যগ্রন্থ Blood and Belonging: Journeys into the New Nationalism. by Mi chael Ignatief. স্থান ওভারব্রুক কমিউনিটি সেন্টার, ৩৩ কুইল স্ট্রিট। নতুন ও সৃজনশীল চিন্তায় আগ্রহী সবাই আমন্ত্রিত। যোগাযোগ: রাশেদ নবী (৬১৩) ৪১০-২৬৬৬। rnabi@sympatico.ca অটোয়া কানাডাmustafa.chowdhury49@gmail.com |
অভিনেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে মিতা নূরের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁরা সবাই এ ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।গুলশান বিভাগের উপকমিশনার খন্দকার লুত্ফুল কবির প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মিতা নূরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর স্বামী, ছেলে, মা-বাবা, বোন, গাড়িচালক ও গৃহকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মিতা নূরকে তাঁর স্বামী নির্যাতন করতেন, এমন তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ এখনো আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করছে।গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসেছে। এতে তাঁর শরীরের দুটি স্থানে দাগ পাওয়া গেছে, তবে এ কারণে তাঁর মৃত্যু হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।মিতা নূরের স্বজনেরা জানান, গত ২৩ জুন শুটিং করতে গিয়ে মিতার পায়ে আঘাত লাগে। চিকিত্সকের পরামর্শে তিনি ক্রাচে ভর করে চলাফেরা করছিলেন। মিতা নূরের বড় ছেলে শেহজাদ নূর তাউজ অভিযোগ করে, কয়েকটি পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল তাদের পরিবারের সঙ্গে কোনো কথা না বলে তাদের মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।ছোট বোন মনিরা পারভীন বলেন, মিতা অনেক জেদি ছিলেন। পরিবারের কাছে তাঁর কোনো কথা না টিকলে খুব রেগে যেতেন। একবার রাগ সামলাতে না পেরে ঘুমের বড়ি খেয়ে অস্বাভাবিক হয়ে পড়েন।মিতার বাবা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি এজাহারে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। কিংবা সাংবাদিকদের কাছেও কোনো অভিযোগ করিনি। তার পরও কেন এই অপপ্রচার করা হচ্ছে?’মিতার স্বামী শাহনূর রহমান মজুমদার বলেন, ‘মিতার সঙ্গে কোনো কিছু নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝি হলে তা সহজেই মিটিয়ে ফেলতাম। নির্যাতন করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কেন মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন, সে প্রশ্ন আমাকেও তাড়া করে বেড়ায়। অভিনয়জীবনে কোনো গণমাধ্যমে তাঁর সম্পর্কে নেতিবাচক কথা ছাপা হয়নি। কিন্তু মরে যাওয়ার পর তাঁর নামে নেতিবাচক খবর ছাপানো হচ্ছে।’পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার বাদ আসর লেকপাড়ের বাসায় মিতা নূরের কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়। |
ধোনির অবর্তমানে অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা যে ভালোমতোই সামলাতে পারবেন সেটা আজ বুঝিয়েই দিলেন বিরাট কোহলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ এক অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে ভারতকে এনে দিলেন ৩১১ রানের বড় সংগ্রহ। ৮৩ বলে ১০২ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম দুইটি ম্যাচ হারের পর আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও ভালোভাবেই করেছিলেন দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতেই তাঁরা যোগ করেছিলেন ১২৩ রান। ২৪তম ওভারে এই জুটি ভেঙ্গে উইন্ডিজ শিবিরে স্বস্তি ফেরান কেমার রোচ। ধাওয়ান ফিরে যান ৬৯ রান করে। কয়েক ওভার পরে রোহিত শর্মাও (৪৬) ধরেন সাজঘরের পথ। ৩০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেটে ১৪৪ রান। এরপর শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন কোহলি। খেলতে থাকেন ধীরস্থীরভাবে। মুরলি বিজয় ১৮ বলে ২৫ রানের ছোট্ট ইনিংসটি খেলে কিছু সময়ের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রানের গতি। ৪০তম ওভারে তিনি যখন ফিরে যান তখন দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২১০ রান। সপ্তম উইকেটে রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে ৯০ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন কোহলি। মাত্র ৫০ বলেই তাঁরা যোগ করেন এই ৯০ রান। কোহলি নিজের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটিও তুলে নিয়েছেন ইনিংসের শেষ ওভারে।ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুইটি উইকেট পেয়েছেন টিনো বেস্ট। |
উইম্বলডনের আজকের সেমিফাইনালটা অনেকদিনই স্মরণীয় হয়ে থাকবে টেনিস বিশ্বে। নোভাক জকোভিচ আর দেল পোত্রোর লড়াইটা উল্টে দিয়েছে উইম্বলডনের রেকর্ডবুকের পাতা। পৌনে পাঁচ ঘন্টার এই এপিক লড়াইটাই উইম্বলডনের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা ম্যাচের নতুন রেকর্ড। শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হেসেছেন শীর্ষ তারকা জকোভিচ। ৭-৫ ৪-৬ ৭-৬(২) ৬-৭(৬) ৬-৩ গেমের দারুণ এক জয় দিয়ে নিশ্চিত করেছেন ফাইনাল।১৯৮৯ সালে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের ম্যাচের রেকর্ড গড়েছিলেন বরিস বেকার আর ইভান লেন্ডি। তাদের সেই ম্যাচটি চলেছিল চার ঘন্টা ধরে। আর আজ জকোভিচ আর দেল পোত্রোর ম্যাচে ফলাফল নির্ধারনী পঞ্চম সেটে যখন ২-২ ব্যবধানের সমতা, তখনই পেরিয়ে গিয়েছিল চার ঘন্টা ১৩ মিনিট।হাঁটুর ইনজুরির কারণে পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধেই কোর্টে নেমেছিলেন দেল পোত্রো। সেই অবস্থাতেই যে টেনিসের শীর্ষ তারকার বিপক্ষে এইভাবে লড়ে যাবেন সেটা হয়তো কেউ কল্পনাই করতে পারেনি ম্যাচের শুরুতে। প্রথম সেটটা জকোভিচই জিতেছিলেন ৭-৫ গেমে। দ্বিতীয় সেটে ৪-৬ গেমের জয় দিয়ে সমতা ফেরান দেল পোত্রো। পরের দুইটি সেটই গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। তৃতীয়টি জকোভিচ আর চতুর্থটি জিতেছেন পোত্রো। ফলাফল নির্ধারণী পঞ্চম সেটে আর্জেন্টাইন তারকাকে খুব বেশি সুযোগ দেননি জকোভিচ। ৬-৩ গেমের জয় দিয়ে শেষ করেছেন দুর্দান্ত এই লড়াইটি।দ্বিতীয় উইম্বলডন শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে রোববারের ফাইনালে অ্যান্ডি মারে বা ইয়ার্জি ইয়ানোভিচের মুখোমুখি হতে হবে জকোভিচকে।— রয়টার্স� রয়টার্স |
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, সরকার গাজীপুরে ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছে বলেই সেনা মোতায়েন করতে চাচ্ছে না। ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছে বলেই তারা সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, সারা দেশ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গাজীপুরে জড়ো করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এসব অপকর্ম রোধে সেখানে সেনা মোতায়েনের আহ্বান জানান তিনি।আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গাজীপুরে যদি কোনো কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়, তাহলে এর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবে।’বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুককে হত্যাচেষ্টার দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামের একটি সংগঠন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ, সাংসদ আসিফা আশরাফী প্রমুখ। |
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সুন্নি পুরুষ ছাড়া আর কেউই মৌলিক অধিকার পুরোপুরি ভোগ করতে পারেন না। তিনি বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে আপসরফার রাজনীতির কারণে দেশে মৌলবাদীরা শক্তিশালী হয়েছে এবং সে কারণেই দেশে নারী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা সংবিধানে বর্ণিত সম-অধিকার থেকে বঞ্চিত।গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ডেমোক্রেসি (আইসিডিবি) এবং ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে সুলতানা কামাল এসব মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।আইসিডিবি সভাপতি পিটার কাস্টার্সের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এবং রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সেখানকার ভুক্তভোগীদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে কর্মরত সংগঠন সারভাইভারস ফান্ডের পরিচালক ডেভিড রাসেল।বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রধান সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা যে দেশ চেয়েছিলাম, বর্তমান বাংলাদেশ তা নয়।’ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সম্পর্কে ভিত্তিহীন অপপ্রচার করা হচ্ছে। ওই আদালতে সাক্ষী হিসেবে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের জেরার বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই বিচারকাজ আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে।’রুয়ান্ডার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ডেভিড রাসেল বলেন, তারা মৃত্যুদণ্ডের বিধান তুলে দেওয়ার কারণে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডসসহ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া রুয়ান্ডার গণহত্যায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে সেখানে ফিরিয়ে নিতে পেরেছে। এর ফলে শেষ পর্যন্ত তারা অপরাধের দায় থেকে রেহাই পায়নি।রুয়ান্ডার গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যে বিচার হয়েছে, সেই বিচারপ্রক্রিয়ার নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে ডেভিড রাসেল বলেন, যারা দেশটিতে গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের পরিবারগুলো ওই বিচারে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কারণ, তাতে ক্ষতিপূরণের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। রুয়ান্ডার বিচারপ্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।সভায় সুলতানা কামালসহ অন্য বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগ্রহী না হওয়াকে বিচারকাজ ৪২ বছর বিলম্বিত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে বর্ণনা করেন। |
জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। এরপর তারা অঙ্গসংগঠন শিবিরকে নিয়ে দেশে জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটিয়েছে। তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন আইনি, সামাজিক এবং সর্বোপরি তারুণ্যের ত্রিমুখী লড়াই।আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে আয়োজিত ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক গণসংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ এ সংলাপে আয়োজন করে। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংলাপের সূচনা হয়। এরপর স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী বিপুল ভট্টাচার্যের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনতে হলে জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা যায়। নিষিদ্ধ না করলে তাদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।শিক্ষাবিদ অজয় রায় বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে সাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে যদি দেখা হয়, তবে তারা অসাম্প্রদায়িক দেশে কাজ করতে পারে না। আবার যদি ধর্মভিত্তিক দল হিসেবে দেখা হয়, তবে তারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। কিন্তু তারা তাদের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। একটি যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জাতীয় সংসদে আইন পাস করে তাদের নিষিদ্ধ করার জন্য তিনি সাংসদদের প্রতি অনুরোধ জানান।শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি চালান কৃষক, পোশাকশ্রমিক আর প্রবাসী শ্রমিকেরা। বাংলাদেশ নামক গাড়িতে এই তিনটি চাকা লাগানো আছে। চতুর্থ চাকাটি লাগাতে হবে তরুণ প্রজন্মকে। পড়াশুনা করতে হবে, জানতে হবে। জামায়াত হাজার হাজার কোটি টাকা তৈরি করেছে রাজনীতির জন্য। তরুণদের শত শত...কোটি টাকা তৈরি করতে হবে গরিব মানুষের জন্য।’ তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছাড়া বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই এ চেতনাকে বুকে ধারণ করতে হবে। তাহলে আর কোনো শক্তিই ভয় দেখাতে পারবে না।অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ এবং অসাম্প্রদায়িক মানস কাঠামো তৈরির উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধে হয়েছিল। কিন্তু এর কোনোটিই বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ’৭১-এ স্বনামেই বিরোধিতা করেছে। ৩০ লাখ শহীদের মৃত্যুর জন্য তারা সরাসরি দায়ী। তারা এ সবকিছু করেছে ধর্মের নামে। অসাম্প্রদায়িক একটি ধর্মকে সাম্প্রদায়িক বানিয়েছে। তিনি জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধে পাড়ায় মহল্লায় তাদের প্রতিরোধ করতে ব্রিগেড গড়ে তোলার আহ্বান জানান।এক প্রশ্নের জবাবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়নি বলে মনে হচ্ছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের ভোট দিয়ে কেউ ক্ষমতায় যাবেন এটা হতে দেওয়া হবে না।’বক্তব্যে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, জামায়াত সব সময়ই জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং মৌলবাদের চাষাবাদ করে আসছে। একমাত্র তাদের নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্জীবিত হতে পারে।গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা মারুফ রসূলের সঞ্চালনায় সংলাপে অন্যদের মধ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুব জামান, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হারুন হাবীব, হাক্কানী খানকা শরিফের সভাপতি ইমদাদুল হক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধনএদিকে একই দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করে শহীদ রুমী স্কোয়াডসহ কয়েকটি সংগঠন। এ সময় তাদেরকে ‘আন্দোলনের নামে প্রহসন বন্ধ কর, মুক্তিযুদ্ধ সবার কারো বাপ-দাদার নয়, বাংলার মাটিতে জামায়াত-শিবির-রাজাকারের অস্তিত্ব দেখতে চাই না’ প্রভৃতি প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়। একই সময়ে একই দাবিতে জাদুঘরের গেইটে ‘ফাঁসির দাবিতে গণ-অবস্থান’ নামে আর একটি ব্যানারের অধীনে বেশ কয়েকটি সংগঠন অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। |
মিসরের রাজধানী কায়রোতে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের মিছিলে আজ শুক্রবার সেনাবাহিনী গুলি চালালে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্টশিয়াল গার্ডের কর্মকর্তা ক্লাবের সামনে মুরসির সমর্থকেরা ভিড় করতে থাকলে, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সেনারা গুলি চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, মুরসি এখন প্রেসিডেন্টশিয়াল গার্ডের কার্যালয়ে আটক আছেন। মুসলিম ব্রাদারহুড মুসরিকে পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার দাবি জানিয়ে আসছে।কায়রো শহরের আশপাশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দেশজুড়ে গণবিক্ষোভের মুখে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। বিবিসি বলছে, রাব্বা আল আজাউইয়া মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের পর মুরসির প্রায় দুই হাজার সমর্থক সেনা কর্মকর্তাদের ক্লাবের দিকে অগ্রসর হয়।এ সময় রাস্তা না পেরোনোর জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু জমায়েতটি যত বড় হতে থাকে, সেটি তত বেশি এগোতে থাকে এবং একপর্যায়ে রাস্তা পেরিয়ে যায়। সেনারা প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়ে, পরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সরাসরি গুলি চালায়।গত বুধবার রাতে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী। মুরসি দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী নেতা।মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটিতে মুরসিসহ আরও প্রায় ৩০০ জন রাজনৈতিক নেতাকে আটকের জন্য পরোয়ানা জারি হয়েছে।এর আগে সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর আন্দোলনের বিরুদ্ধে তাঁরা স্বেচ্ছাচারী অবস্থান নেবে না। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হয়ে ওঠা পর্যন্ত যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক আন্দোলন করার স্বাধীনতা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতিও দেয় সেনাবাহিনী। |
ভোটের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ কথা বলেন।নির্বাচনের আগের দিন কোনো প্রচার প্রচারণা চালানোর কথা না থাকলেও আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে টঙ্গী থানা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এম এ মান্নান। এ সময় তিনি বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণার পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ করেন।এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘উনি এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন না। প্রকারান্তরে এটিই নির্বাচনী প্রচারণা হয়, যেটি করার কোনো সুযোগ নেই, এটি বৈধও নয়।’ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মান্নানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এ ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি আমাদের নোটিশে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘উনি (এম এ মান্নান) তো প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমেই অভিযোগ করেছেন, তার পরও কি ব্যাপারটি আপনাদের গোচরে আসেনি?’ জবাবে মতিয়ার রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, এটি আমার গোচরে আসলো। নোটিস করার আগে আমার কিছু এভিডেন্স দরকার হয়। সেটি আমি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে কাজটি অবশ্যই করব।’এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পদ্ধতি নিয়ে মান্নানের অভিযোগের জবাবে নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন্দ্রে সব প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের সামনে ফল গণনা ও ফল ঘোষণা করা হয় এবং পোলিং এজেন্ট অথবা প্রার্থীকে ফলাফলের একটি কপি দেওয়া হয়। এরপর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ফল জমা দেবেন। সেটি মাইকে ঘোষণা করা হয় এবং একই সঙ্গে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা হয়। সেটি সবাই ওয়েবসাইটে দেখতে পান। সব কেন্দ্রের ফল পাওয়ার পর যিনি সর্বোচ্চ ভোট পান তাঁকেই বেসরকারিভাবে নির্বাচিত করা হয়। কাজেই এ নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই।’ |
টেনিস, ফুটবল, হকি, রাগবি সবই আছে অলিম্পিকে। আছে কত শত খেলা। কিন্তু নেই ক্রিকেট। কেন ক্রিকেটের জায়গা নেই ক্রীড়াজগতের সবচেয়ে বড় এই প্রতিযোগিতায়? প্রশ্নটা অনেক দিন ধরেই ঘুরছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। মাঝে শোনা গিয়েছিল, অলিম্পিকে ফিরে আসবে ক্রিকেট, যে খেলাটি সেই ১৯০০ সালের অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রথম ও শেষবারের মতো। কিন্তু লন্ডন অলিম্পিকে তো বটেই, সামনের অলিম্পিকগুলোতেও ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা আপাতত নেই।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তী সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া সেটাই জানিয়ে দিলেন। অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি লাভজনক হবে না বলেই অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না আইসিসি।অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিকে। এখন আবেদন করলে ২০২৪ সালের অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিতে পারত ক্রিকেট। কিন্তু সে রকম কোনো পরিকল্পনাই নেই আইসিসির। সম্প্রতি লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সভায় অন্য নানা বিষয়ের সঙ্গে আলোচিত হয়েছিল অলিম্পিক প্রসঙ্গটিও। মূলত অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই বলেই এ বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না আইসিসি। সম্প্রতি দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ডালমিয়া, ‘আমরা অলিম্পিকের তুলনায় চার গুণ বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারি একটা বিশ্বকাপে। ক্রিকেট আর অলিম্পিকের ক্ষেত্রটা পুরোপুরি আলাদা। কমনওয়েলথ গেমসের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা এমনটা বলছি।’১৯৯৮ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো কমনওয়েলথ গেমসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ক্রিকেটকে। ক্রিকেটকে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে সময়সূচি নিয়েও সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করছে আইসিসি। তাই অলিম্পিকে ব্যাট-বলের লড়াই দেখার কোনো সম্ভাবনাই আপাতত নেই। তথ্য: পিটিআই। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের সর্বশেষ স্কোর জানতে C লিখে এসএমএস করুন 2221 নম্বরে |
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে, আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দল সে রায় মেনে নেবে। জয়ী হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, আর পরাজিত হলে কারচুপি হয়েছে—বিএনপিকে এই মিথ্যাচারের সংস্কৃতি বাদ দিয়ে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ১৪ দলের এই সমন্বয়ক বলেন, ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ির রাজনীতি করে গাজীপুরের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ ও আহসান উল্লাহ মাস্টারের রক্তবিজড়িত গাজীপুরের মানুষ আজমত উল্লাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের এই মুখপাত্র এসব কথা বলেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের জবাব দিতেই ১৪ দলের পক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য বিএনপি আন্তর্জাতিক কিছু মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা এখন সিটি নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের অযৌক্তিক দাবি করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সাড়ে পাঁচ হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, কোথাও কোনো কারচুপির ঘটনা ঘটেনি। কিশোরগঞ্জ-৪ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও পরাজিত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ছিল। কিন্তু জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন মির্জা ফখরুলরা মিথ্যাচার করছে, নির্বাচনে ভোট কারচুপি করা হয়েছে। বিগত সাতটি সংসদ নির্বাচনে যে এলাকার মানুষ আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে সেখানে কারচুপি করার প্রশ্নই ওঠে না।সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মুজিব সড়কের জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক ও আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবে মিল্লাত, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, আবু ইউসুফ সূর্য্য, সাধারণ সম্পাদক কে এম হোসেন আলী হাসানসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। |
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আগামী ঈদের আগেই সাংবাদিকদের জন্য অষ্টম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হবে। কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইন আছে তিন মাসের মধ্যে ওয়েজ বোর্ড চূড়ান্ত করতে হবে। আমি এত দিন সময় নেব না। প্রতিবেদনটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আলাপ আলোচনা করছি। ঈদের আগেই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করে এর নিষ্পত্তি করা হবে।’আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কক্সবাজার শহরের হিলডাউন সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি টিভি চ্যানেল নীতিমালাও এই জুলাই মাসে ঘোষণা করা হবে। সম্প্রচার নীতিমালা জনসমক্ষে প্রচার করব মতামতের জন্য। আশা করছি দুই মাসের ভেতরে সম্প্রচার নীতিমালাও চূড়ান্ত করতে পারব। তখন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরে আসবে।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গিবাদের দোসর যেমন আছে, তেমনি গণমাধ্যমের ভেতরেও দুর্বৃত্তায়ন রয়েছে। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন এবং গণমাধ্যমের দুর্বৃত্তায়ন মোকাবিলা করাটা এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ। গণতন্ত্রকে নিরাপদ ও মজবুত এবং গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষা করতে দুর্বৃত্তায়নকে মোকাবিলা করতে হবে।কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ‘প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কুদ্দুস, ‘কালের কণ্ঠ’-এর তোফায়েল আহমদ, বিটিভির জাহেদ সরওয়ার, প্রবীণ সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল ও ফজলুল কাদের চৌধুরী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শহীদুল হক ভুঁইয়া, গণসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম ইউ আহমদ, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী। মন্ত্রী পরে জেলা জাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলীয় সমাবেশে যোগ দেন। |
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, ছয় মাসের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি চালু করা সম্ভব হবে। তবে এর আগে আমাদের পোশাক খাতে উন্নয়নে কিছু কাজ করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন সুবিধা, শ্রমিকদের চিকিত্সা, কাজের পরিবেশ উন্নয়ন এবং মজুরির বিষয় রয়েছে। এসব কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। আগামী সংসদে এই আইন পাস হবে। আজ শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গওহর রিজভী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, শিগগিরই তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধায় মানুষ গমনাগমন সুবিধা চালু হবে। তিনি ছিটমহল বিনিময় বিষয়ে বলেন, ছিটমহল বিনিময়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিটি ভারতের সংসদের পাস করতে হবে। ভারত সরকার চুক্তিটি সংসদে তুলেছে। আশা করছি শিগগিরই চুক্তিটি পাস হবে। আর এই চুক্তি পাস হলে ছিটমহল বিনিময়ে আর কোনো বাধা থাকবে না। তখন ছিটমহলের নাগরিকরা যে যে যেখানে থাকতে চায়, সেখানেই থাকতে পারবে।পরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ভবনে বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন, কাস্টমস, বিজিবি, আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মো. মজাহারুল হক প্রধান, পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বাছির, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শোয়েব উল ইসলাম, আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এ রহমান মুকুল, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম, বন্দরের ব্যবস্থাপক কাজী হাসান আল তারিক উপস্থিত ছিলেন। |
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ২৭ ঘণ্টা পর খোঁজ পাওয়া গেছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ‘এফবি পাইলিন’ নামের মাছ ধরার ট্রলারটির। থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পথে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এই ট্রলারের সঙ্গে বেতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।ট্রলারটির আমদানিকারক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ কোম্পানি লিমিটেডের মুখপাত্র খন্দকার হেদায়েতুল ইসলাম আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটির বেতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ কারণে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আজ সন্ধ্যায় নিশ্চিত হয়েছি, এটি থাইল্যান্ডের ফুকেট উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে আসছে। জাহাজের তিন বাংলাদেশি নাবিকসহ মোট ১০ জন নাবিক সুস্থ আছেন।’আমদানিকারক সূত্র জানায়, থাইল্যান্ড থেকে এই মাছ ধরার ট্রলারটি সাড়ে ২১ লাখ ডলারে কেনে আওয়ামী লীগের নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মালিকানাধীন একটি কোম্পানি। গত ২৮ জুন এটি থাইল্যান্ড থেকে নৌপথে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। আগামী শুক্রবার এটি বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। |
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে মার্কিন পপ গায়িকা ও অভিনেত্রী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ‘উহ লা লা’ গানটি। এটি ব্যবহূত হয়েছে ‘দ্য স্মার্ফস ২’ ছবিতে। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ৩১ জুলাই। নিজের পরবর্তী অ্যালবামের কাজও প্রায় শেষ বলে জানিয়েছেন ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’খ্যাত এ তারকা সংগীতশিল্পী।নতুন অ্যালবামের শিরোনাম সম্পর্কে কিছু না জানালেও এক টুইটার বার্তায় ৩১ বছর বয়সী এ গায়িকা লিখেছেন, ‘আমার নতুন অ্যালবামের কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছি। অনেক দিন থেকেই অ্যালবামটির কাজ করছি। আমার নতুন গানগুলো সবাইকে শোনানোর জন্য একদমই তর সইছে না।’ জানিয়েছে ‘অ্যাকসেস হলিউড’।ব্রিটনি আরও লিখেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবনের অনেক অভিজ্ঞতার কথাই অ্যালবামের গানগুলোতে ঠাঁই পেয়েছে। এর আগে আমার আর কোনো অ্যালবামেই এত বেশি ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ উঠে আসেনি।’ |
বিতর্ক-কেলেঙ্কারির অভাব কখনোই ছিল না পাকিস্তান ক্রিকেটে। দলীয় কোন্দল, পাতানো ম্যাচ, স্পট ফিক্সিং এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত হয়ে থাকে দেশটির ক্রিকেট অঙ্গন। এবার ষোলোকলা পূর্ণ করার জন্য যোগ হয়েছে যৌন কেলেঙ্কারিও। পাকিস্তানি আম্পায়ার আসাদ রউফের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটা টাটকা থাকতেই এবার অভিযোগবিদ্ধ হলেন পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য। লন্ডনের এক হোটেলকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের এক মেস্যুয়রের বিরুদ্ধে।ইংল্যান্ডে সদ্যসমাপ্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলার সময় ঘটেছে বিতর্কিত এই ঘটনাটি। মেস্যুয়র মালাং আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন হোটেলের এক নারী কর্মী। প্রাথমিক তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর তড়িঘড়ি করেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মালাংকে। সে সময় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরতে হয়েছিল দলের মেস্যুয়রকে। দেশে ফেরার পর নতুনভাবে তদন্ত করা হয় বিষয়টি নিয়ে। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মালাংকে।পাঁচ বছর আগে আইসিসি যুব বিশ্বকাপ চলাকালে একবার চুরির অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কিন্তু সে সময় কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে কিছুদিনের বহিষ্কারাদেশের পর আবারও চাকরিতে বহাল হয়েছিলেন মালাং। |
২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির তিনটি বড় প্রতিযোগিতা এককভাবে আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে ভারত। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২১ সালের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ। তবে তার আগে বাংলাদেশের দুর্বলতার কারণে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচও আয়োজনের সুযোগ পেয়ে যেতে পারে ভারত। লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সভা শেষে দেশে ফিরে তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া।২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে বেশ চাপের মুখেই আছে বাংলাদেশ। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে আসছে আইসিসি। আইসিসি প্রতিনিধিদলের সর্বশেষ পরিদর্শনেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু কক্সবাজার ও সিলেটের নির্মাণকাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। আগামী মাসে আরেকটি পরিদর্শনের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে কয়েকটি ম্যাচ চলে যেতে পারে ভারতে। আর সেই আয়োজনের সুযোগটা লুফেই নেবে ভারত। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ভারতের প্রস্তুত থাকার কথাটা আইসিসির বার্ষিক সভায় জানিয়েও এসেছেন ডালমিয়া।দেশে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশের দুটি ভেন্যু নিয়ে সংশয় আছে। যদি তারা নির্ধারিত সময়ে সেগুলো প্রস্তুত করতে না পারে, তাহলে আমরা সেই ম্যাচগুলো আয়োজন করতে রাজি আছি।’তবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই প্রস্তাব দেননি বলে জানিয়েছেন ডালমিয়া। তাঁর কাছে, এটা শুধুই বাংলাদেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া মাত্র। এর ফলে এটা নিয়ে খুব বেশি উত্ফুল্ল হওয়ারও কোনো মানে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন আইসিসির সাবেক এই সভাপতি, ‘এটা একটা কঠিন পরিস্থিতি, আর আমি এতে উল্লাস করছি না। কিন্তু আমরা অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়াব যদি ছয় মাস আগেই আমাদেরকে জানানো হয়।’ সূত্র: জিনিউজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচটির স্কোর জানতে c লিখে পাঠিয়ে দিন ২২২১ নম্বরে। |
মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতাচ্যুত করার পর আজ শুক্রবার দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।আফ্রিকান ইউনিয়নের মহাসচিব আদমোর কামবুজি বলেন, ‘মিসরে সাংবিধানিক শাসন ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে এইউয়ের শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক পরিষদ ইউনিয়নের সব কর্মকাণ্ডে মিসরের অংশগ্রহণ স্থগিত করেছে।’ এইউয়ের যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রে সাংবিধান লঙ্ঘনের জবাবে এইউ সাধারণত রাষ্ট্রটির সদস্যপদ স্থগিত করে। গত মার্চে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো মধ্য আফ্রিকীয় রিপাবলিকের সরকারকে উত্খাত করলে সংস্থাটি দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করছিল। এ ধরনের ঘটনায় এইউ মাদাগাস্কার ও মালির সদস্যপদও স্থগিত করেছিল।মিসরের নির্বাচিত সরকারকে উত্খাতের ঘটনায় তিউনিসিয়া ও তুরস্ক নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ঘটনায় প্রকাশ্যে কোনো পক্ষ নেয়নি। তবে তারা অতিদ্রুত গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।বিচারপতি আদলি মানসুর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরিবর্তী কাজ হবে সেনাবাহিনীর ঘোষিত ‘রোডম্যাপ’ প্রকাশ করা। একটি সরকারি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, আসছে রোববারের মধ্যে নতুন সরকার গঠিত হবে। |
মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে দোটানায় পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নির্বাচিত মুরসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দেশটির সেনাবাহিনীর প্রশংসা না তিরস্কার করবেন, তা ঠিক করতে পারছেন না। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর জন্য সত্যিই এক কঠিন কাজ।গতকাল বৃহস্পতিবার মিসরের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি হোয়াইট হাউসে শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবামা। এ সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে হিমশিম খেতে দেখা যায়।মিসরের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বরাদ্দ যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের সহায়তা স্থগিত করার বিষয়টির ভাবার। তবে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে তিনি মধ্যপন্থা অবলম্বন করেছেন। মিসরের শাসনক্ষমতা দ্রুত বেসামরিক সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে মিসরকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। কেননা ওবামার উপদেষ্টারা মনে করেন, সরাসরি কোনো পক্ষ অবলম্বর করা হবে আগুনে ঘি ঢালার মতো।বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা দলের সদস্যরা এবং আঞ্চলিক সহযোগীরা যত দ্রুত সম্ভব মিসরে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের হাতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতি জোর দিয়েছেন।’২০১১ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ চলাকালে দীর্ঘ দিনের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র মোবারকের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিল। এবার মুরসির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ওবামা কী করবেন, তা দেখার বিষয়।পদক্ষেপ হিসেবে ওবামা কায়রোতে বেসামরিক সহায়তা বাড়িয়ে দিতে পারেন। কায়রো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বার্ষিক ১৫০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। এর মধ্যে বেসামরিক সহায়তা মাত্র ২৫ কোটি ডলার। একই সঙ্গে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিতে কূটনৈতিক দূতও পাঠাতে পারেন ওবামা।সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে মিসর সমস্যার প্রান্তসীমায় পৌঁছে গেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন। মুরসি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুতর সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওয়াশিংটন অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিল। একই সঙ্গে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ বের করতে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে বৈঠক বসার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। এর আগেই মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। রয়টার্স। |
তিন বছর ধরে ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে আজ শুক্রবার সকাল নয়টা ২৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী বিপুল ভট্টাচার্য। ধানমন্ডির আহমদ মেডিকেল সেন্টারে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা। তেমনি কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হল এখানে...ইন্দ্রমোহন রাজবংশী: বিপুল ভট্টাচার্যদের মতো মানুষেরা বারবার জন্ম নেয় না। এ ধরনের প্রতিভা একবারই জন্ম নেয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, চরম অবহেলা ও অনাদরে বিপুল ভট্টাচার্যের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি অসম্ভব উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন হয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মেধাবী এই কণ্ঠশিল্পীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনোরূপ সম্মান দেখানো হয়নি। সরকারি ও বেসরকারিভাবে যদি বিপুল ভট্টাচার্যের মতো মানুষদের সম্মান দেখানো যেত, তা হলে দেশ এবং সমাজও অনেক বেশি আলোকিত হতো। আজকের সময়ে মূল্যবোধের যে অবক্ষয় সে সময়টাতে বিপুল ভট্টাচার্যের মতো মানুষদের প্রয়োজনটা অনেক বেশি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশে সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁর আরও অনেক কিছুই দেবার ছিল। সুজেয় শ্যাম : স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মাধ্যমে একজন শব্দসৈনিক হিসেবে বিপুল ভট্টাচার্যের অবদানের কথা সবাই জানেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিপুল ভট্টাচার্য অনেক বড় মনের একজন মানুষও ছিলেন। সুস্থ অবস্থায় সব সময় সবার খোঁজখবর নিতেন। অত্যন্ত বন্ধুবত্সল ছিলেন বিপুল। সবাইকে আপন করে নেওয়ার অন্যরকম ক্ষমতা ছিল তাঁর। অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবে এত দ্রুত যে তিনি এভাবে চলে যাবেন, সেটা কল্পনা করিনি। তিমির নন্দী: মুক্তিযুদ্ধের সময় কণ্ঠযুদ্ধে বিপুল আমার সহযোদ্ধা ছিলেন। আমার একজন বন্ধুও তিনি। ১৯৬৯ সালে ইস্ট পাকিস্তান প্রতিযোগিতায় পল্লি গানে আমি হয়েছিলাম দ্বিতীয় আর বিপুল প্রথম। সেই থেকে আমাদের পরিচয় এবং বন্ধুত্ব। একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে দেশের জন্য তাঁর অবদান সবার জানা। বিপুলের মতো লোকগানও খুব কম মানুষই গেয়েছে। আবদুল আলীম ছিলেন একজন, আরেকজন আমাদের বিপুল ভট্টাচার্য। বিপুলের মৃত্যুতে আমরা হারালাম এ দেশের ইতিহাসের একজন সাক্ষীকে। খুব খারাপ লাগছে বিপুলের পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া আর এই সময়ে আমি ঢাকার বাইরে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিপুলকে নিয়ে একজনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। অনেক আগে থেকেই ও অসুস্থ। অসুস্থ হওয়ার পরপরই ওকে নিয়ে বিটিভি ও দেশ টিভিতে অনুষ্ঠান করেছিলাম। সব সময় চেষ্টা করেছি কিছু একটা করতে। ফকির আলমগীর: স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র কিংবা লোকগানের অন্যতম শিল্পী নয়, বিপুল ভট্টাচার্য হলেন বাংলার হিরো। তার চেতনার মূলে ছিল গণসংগীত। একই চেতনা নিয়ে আমরা গান করেছি। আমরা অনেক জনপদে গান গেয়েছি। বিপুল সব সময় প্রগতি ও অসাম্প্র্রদায়িকতার পক্ষে কাজ করেছে। তাঁর মতো একজন বড় মাপের শিল্পীকে কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করা হয়নি—বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। বিভিন্ন সংগঠন তাঁকে পুরস্কার দিলেও, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়নি। সাড়ে তিন বছর তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন। প্রচারবিমুখ একজন মানুষ ছিলেন তিনি। প্রচারমাধ্যমের সামনে খুব একটা আসতেন না। কাজ করে যেতেন। তার চলে যাওয়ায় সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। চন্দনা মজুমদার : বিপুল ভট্টাচার্য স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে যেমন কাজ করে গেছেন, ঠিক তেমনি স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ফোক গানকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছেন। এত দরাজ কণ্ঠস্বরের ফোক গানের শিল্পী আমি আমার জীবনে দেখিনি। কিন্তু সব সময় বেশ আড়ালে থাকতে পছন্দ করতেন তিনি। গান তিনি করে গেছেন নিজের জন্য, মানুষের জন্য। তাঁর মৃত্যুতে লোকসংগীতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। |
নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক দলগুলো বিনা মূল্যে কিছু দেওয়ার ব্যাপারে ভোটারদের কাছে অঙ্গীকার করতে পারবে না। এ ব্যাপারে নীতিমালা নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ শুক্রবার বিচারপতি পি সত্যশিবমের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। খবর আইএএনএসের।আদালতের নির্দেশে বলা হয়, একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি। বিনা মূল্যে কোনো কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভোটারদের প্রভাবিত করে। ভোটের স্বাভাবিক অবস্থাকেও ব্যাহত করে।নির্দেশে আরও বলা হয়, টেলিভিশন, ল্যাপটপসহ ভোটারদের বিনা মূল্যে কোনো কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইনের ১২৩ ধারায় অবৈধ ছিল না। তবে তামিলনাড়ুতে রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে রঙিন টেলিভিশন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আদালতে অভিযোগ করলে আদালত তা অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট নজরে এনে আজ এই নির্দেশ দেন। |
বলিউডের অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে রোমানীয় টিভি তারকা ইলুলিয়া ভেঞ্চুরের সখ্যের খবরে সরগরম হয়ে আছে বলিউডকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ইলুলিয়া সম্পর্কে বোমা ফাটানো তথ্য ফাঁস করলো টাইমস অব ইন্ডিয়া। সম্প্রতি এক খবরে বলা হয়েছে, রোমানিয়ার সংগীতশিল্পী মরিয়াস মগা ও ইলুলিয়ার মধ্যে নাকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ তথ্যের উত্স মরিয়াসের ফেসবুক পাতা। সেখানে ইলুলিয়ার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন মরিয়াস। ফেসবুকে সম্পর্কের অবস্থা সম্পর্কে মরিয়াস লিখেছেন, ‘ম্যারিড টু ইলুলিয়া’। এ ছাড়া ২০১২ সালের ৭ আগস্ট তারিখে ইলুলিয়ার সঙ্গে চুম্বনরত একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন গ্র্যামি মনোনয়ন পাওয়া এ সংগীতশিল্পী। খুব বেশি দিন হয়নি যখন পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন ট্যাবলয়েডে প্রায় নিয়মিতই খবরের শিরোনাম হয়েছেন মরিয়াস ও ইলুলিয়া। তাঁদের উত্তাল প্রেমের খবরের পাশাপাশি বিচ্ছেদ ও পুনর্মিলনের খবরও চাউর হয়েছে। একাধিকবার সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতেছেন রোমানিয়ার অন্যতম আলোচিত তারকা যুগলে পরিণত হয়েছেন মরিয়াস ও ইলুলিয়া। নাচবিষয়ক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ড্যান্সিং উইথ দ্য স্টারস’-এর রোমানীয় সংস্করণ ‘ড্যান্সেজ পেন্ট্রা টাইন’ একসঙ্গে উপস্থাপনা করতে গিয়ে প্রথম একে অপরের সান্নিধ্যে এসেছিলেন মরিয়স ও ইলুলিয়া। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মজার বিষয় হলো, সালমানের সঙ্গে ইলুলিয়ার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মরিয়াস। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বডিগার্ড’ ছবির শুটিং করতে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে গিয়েছিলেন সালমান। সেখানেই প্রেমিকা ইলুলিয়ার সঙ্গে সালমানের পরিচয় করিয়ে দেন মরিয়াস। ২০১১ সালে ভারত সফরেও এসেছিলেন মরিয়াস ও ইলুলিয়া। কিন্তু মাস কয়েক আগে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ইলুলিয়া। বিষণ্নতা ভর করে তাঁর ওপর। রোমানিয়ার কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, জীবনের অন্যতম কঠিন সময় পার করছেন ইলুলিয়া। এমনকি এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মানসিক চিকিত্সকেরও দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে। নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি পেতে রোমানিয়া থেকে ভারতে সালমানের কাছে চলে আসেন ইলুলিয়া। সালমানও তাঁর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এই জুটির সখ্যের খবর প্রথম শোনা যায় গত মে মাসের শুরুর দিকে। এমনকি তাঁরা বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলেও খবর চাউর হলে হইচই পড়ে যায় চারদিকে।ইলুলিয়া প্রসঙ্গে সালমান মুখ না খুললেও তাঁর সঙ্গ যে ইলুলিয়া দারুণ উপভোগ করছেন, তার প্রমাণ পাওয়া যায় মে মাসের শেষের দিকে। তখন বেতনের চার হাজার ইউরোর মায়া ত্যাগ করে দুই মাসের অবৈতনিক ছুটি চেয়ে রোমানিয়ার প্রো টিভি চ্যানেল বরাবর দরখাস্ত পাঠিয়েছিলেন ইলুলিয়া। তাঁকে টিভি তারকা হিসেবে ভারতে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলেও কথা দিয়েছেন সালমান। বেশ কিছুদিন ধরে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে সালমান ও ইলুলিয়াকে। গোয়ায় ‘মেন্টাল’ ছবির শুটিংয়ের সময় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন স্বর্ণকেশী ইলুলিয়া। সেখানে অনেকটা সময় তাঁরা একসঙ্গে কাটান। এ ছাড়া সম্প্রতি একই ছবির শুটিংয়ের কাজে হায়দরাবাদ শহরে গিয়েছিলেন সালমান। তখনো তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইলুলিয়া। বিমান থেকে নেমে শুরুতে তাঁরা একসঙ্গেই হাঁটছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আলোকচিত্রীরা তাঁদের ছবি তোলার চেষ্টা করলে বিমানবন্দর থেকে আলাদাভাবে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সালমান। তিনি তাঁর জন্য অপেক্ষমাণ বিলাসবহুল গাড়িতে করে ইলুলিয়াকে স্থানীয় একটি হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে ভাড়া করা ট্যাক্সি নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সালমান।ঘটনার এখানেই শেষ নয়। বান্দ্রার কার্টার রোডের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইলুলিয়ার থাকার ব্যবস্থা করেছেন সালমান। মুম্বাইয়ের গ্যালাক্সি হাইটস অ্যাপার্টমেন্টে মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করতেন সালমান। মাস তিনেক আগে অ্যাপার্টমেন্টটির সংস্কারকাজ শুরু হওয়ার পর বান্দ্রার কার্টার রোডের অ্যাপার্টমেন্টে মা-বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন সালমান। সম্প্রতি তিনি একই অ্যাপার্টমেন্টে ইলুলিয়ার থাকার ব্যবস্থা করেছেন। এর আগে মুম্বাইয়ের খার এলাকায় অবস্থিত এক বাড়িতে সাবেক প্রেমিকা ও বলিউডের অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ‘বিগহার্ট লাভারবয়’ সালমান।সালমান এর আগে সহ-অভিনেত্রীদের পাশাপাশি একাধিক বিদেশিনির প্রেমে মজেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী ব্রুনা আবদুল্লাহ। ব্রুনার বাবা আরবের এবং মা ব্রাজিলের। সালমানের প্রেমিকার তালিকায় আরও ছিলেন জার্মান মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা ক্লদিয়া সিজলা, ব্রিটিশ মডেল হ্যাজেল কিচ প্রমুখ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ইলুলিয়ার নাম। সালমান-ইলুলিয়ার প্রেম পরিণতির দিকে এগোবে, না-কি ইলুলিয়ার জায়গায় অন্য কারও নাম যুক্ত হবে, সময়ই তা বলে দেবে। |
দেশের সম্ভাবনাময় ও তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে ঢাকায় ‘জাতীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান টিম ইঞ্জিন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশের অর্থনীতির গতিশীলতার তিন কারণ হলো কৃষক, শ্রমিক ও উদ্যোক্তা। সেই বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে নতুন উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হয়, ভবিষ্যতেও এটা অব্যাহত থাকবে।নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও বিপণন বিষয়ে বিশেষ পরিচর্যাকেন্দ্র (ইনকিওবেটর সেন্টার) গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন খাতে কিছু কিছু প্রশিক্ষণকেন্দ্র এরই মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও পরিচর্যাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সহসভাপতি নেসার মাকসুদ খান ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির। টিম ইঞ্জিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিয়া জুবেরি এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।আয়োজকেরা জানান, সারা দেশের ৩২ হাজার উদ্যোক্তা সম্মেলন উপলক্ষে নিবন্ধন করেন। সম্মেলনের স্লোগান ‘আপনার সাফল্যই দেশের উন্নতি’। দেশের সব বিভাগ থেকে উদ্যোক্তাদের চিহ্নিত করে তাঁদের চাহিদা ও প্রয়োজনগুলোকে তুলে ধরাই এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা নতুন উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে সরকারের বিশেষ সহায়তা তহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এসইএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ব্যাংকিং সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তাঁরা।সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্বের ১২৮ দেশে অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সম্মেলন আগামীকালও চলবে। |
ভারতের দিল্লিতে গত বছরের ডিসেম্বরে মেডিকেলের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত ১৭ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। কিশোর অপরাধীদের বিচারবিষয়ক জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড ১১ জুলাই এ মামলার রায় দেবেন। আজ শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।ওই কিশোরকে ধর্ষণ, খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এসব অপরাধে সে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে সর্বোচ্চ তিন বছর কিশোর অপরাধ সংশোধন কেন্দ্রে রাখা হবে। ওই কিশোর এসব অভিযোগ নাকচ করেছে।একই অভিযোগে অন্য চার আসামির বিচার বিশেষ দ্রুত বিচার আদালতে চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হতে পারে। এ মামলার অপর আসামি কারাগারে আত্মহত্যা করেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।১৬ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ দিল্লিতে ২৩ বছর বয়সী মেডিকেলের ওই ছাত্রীকে একটি চলন্ত বাসের চালক ও তাঁর সহযোগীরা ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে বেদম মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ওই হাসপাতালে ১০ দিন চিকিত্সাসেবার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিত্সার জন্য তাঁকে ২৭ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২৯ ডিসেম্বর ভোর চারটা ৪৫ মিনিটে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভারতজুড়ে প্রচণ্ড বিক্ষোভ শুরু হয়। |
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে আজ শুক্রবার হামলা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রেসক্লাবের জানালা, চেয়ার, টেবিল ও কম্পিউটার। হামলায় ছয়জন সাংবাদিক ও পুলিশের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।উপজেলা সদরের মাজাট গ্রামে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আদম আলী নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, ফুটবল মাঠে বসাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লিয়াকত হোসেনের ভাই আজাদ আলীকে মারধর করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হায়দারের ছেলে রাজীব হায়দার। এর প্রতিবাদে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাজাট, কাশিপুর, ইসমাইলপুর ও হায়বাদপুর গ্রামের কয়েক শ ক্ষুব্ধ মানুষ মিছিল বের করে। এ সময় তারা জগলুল হায়দার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবর কবীরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।একপর্যায়ে তারা প্রেসক্লাবে হামলা চালায়। এ সময় প্রেসক্লাবে অবস্থানরত ‘দৈনিক নবরাজ’ পত্রিকার প্রতিনিধি মো. কামরুজ্জামান, ‘যুগের বার্তা’র প্রতিনিধি আনিছুজ্জামান, ‘সত্যপাঠ’-এর প্রতিনিধি ফারুফ হোসেনসহ আকবর কবীর, সিরাজুল ইসলাম ও কামরুল ইসলামকে মারধর করে। একই সঙ্গে তারা প্রেসক্লাব এলাকায় দায়িত্বরত শ্যামনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক জুলিয়াসকেও মারধর করে। পরে লাঠিপেটা করে উত্তেজিত গ্রামবাসীকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।লিয়াকত হোসেন প্রেসক্লাবে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম খান জানান, কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। প্রেসক্লাব ও শ্যামনগর আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি ধারণা করছেন। |
অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢোকার অপরাধে সাজার মেয়াদ শেষে অমল বর্মণ (১৮) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়েছে।আজ শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট দিয়ে অমল বর্মণকে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার মানিকর গ্রামের অখিল বর্মণের ছেলে।দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাজামুদ্দিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘জয়পুরহাট জেলা কারাগারে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুলিশ ও কারাগার কর্তৃপক্ষ সকাল ১০টার দিকে অমলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। দুপুর ১২টার দিকে অমলকে হিলি চেকপোস্টের মাধ্যমে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি পরেশ মণ্ডলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।’অমল বর্মণ জানান, তিনি গত বছরের ৩০ অক্টোবর সকালে তাঁর বোনের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে বেড়াতে যেতে পাঁচবিবির কয়া সীমান্ত দিয়ে ঢোকেন। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাঁকে আটক করেন।জয়পুরহাট জেলা কারাগার সূত্র জানায়, অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢোকার অভিযোগে জয়পুরহাটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত অমলকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। গত ২৯ জানুয়ারি তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আজ তাঁকে ভারতে পাঠানো হয়। |
এইচটিসি ওয়ান স্মার্টফোনটির একটি মিনি সংস্করণ তৈরি করছে তাইওয়ানের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। চার দশমিক তিন ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত এ স্মার্টফোনটির তথ্য ফাঁস করেছে বুলগেরিয়ার প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট স্মার্ট নিউজ। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। স্মার্ট নিউজে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এইচটিসি মিনি স্মার্টফোনটির নাম ‘এইচটিসি এম ৪’ রাখতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যান্ড্রয়েড জেলিবিন নির্ভর স্মার্টফোনটিতে দুই গিগাবাইট র্যাম ও ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরি থাকবে। এ স্মার্টফোনটিতে থাকবে উন্নত রেজুলেশনের ডিসপ্লে ও দীর্ঘক্ষণ চার্জ থাকার সুবিধা। এই স্মার্টফোনে ফোরজি সুবিধা সমর্থন করবে এবং উন্নত ক্যামেরা থাকবে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে এ স্মার্টফোন বাজারে আসতে পারে। তবে এর দাম সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘আলট্রা-পিক্সেল’ ক্যামেরাযুক্ত এইচটিসি ওয়ান স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে তাইওয়ানের স্মার্টফোন নির্মাতা এইচটিসি। মেগাপিক্সেল সেন্সরের কয়েকটি স্তর মিলে তৈরি হয় আলট্রা-পিক্সেল। এটি পিক্সেল হিসেব না করে পিক্সেলের আকার হিসাব করে। ধাতব কাঠামোর এইচটিসি ওয়ান স্মার্টফোনটিতে রয়েছে কোয়ালকমের তৈরি কোয়াড কোরের প্রসেসর ও ২ গিগাবাইট র্যাম।৪.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোনটিতে ১০৮০ পিক্সেল ফরম্যাট অর্থাত্ হাই ডেফিনেশন মানের ভিডিও দেখা যায়।এইচটিসি মিনি স্মার্টফোনটি স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ফোর মিনির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলেই বাজার গবেষকেরা ধারণা করছেন। |
জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে ৬ জুলাই বিশেষ বর্ষাবরণ উত্সবে গান গাইবেন নজরুলসংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী অণিমা রায়। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বর্ষা নিয়ে রচিত গানের এক অন্যরকম সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে এক মঞ্চে। এ প্রসঙ্গে শিল্পী ফেরদৌস আরা বলেন, ‘এ ধরনের মৌসুমভিত্তিক আয়োজনে গাইতে আমার বেশ ভালো লাগে। আর প্রেসক্লাবের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এ এক অনন্য রূপ নেয়। তাই আমি নিজেও এ ধরনের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে তৃপ্তি পাব আশা করছি।’ রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী অণিমা রায় বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বর্ষার গান নিয়ে অনুষ্ঠিত এ ধরনের আয়োজনে গান গাইতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগবে। অনুষ্ঠানে গানের বিষয় বৈচিত্র্য থাকলে তা সব অর্থেই অনন্য হয়ে ওঠে।’ কাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই ভিন্নধর্মী আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। |
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহপুর নতুনবাজার এলাকায় আজ শুক্রবার ট্রাক্টরের ধাক্কায় দুজন টেম্পোযাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ছয়জন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।নিহত যাত্রীরা হলেন বাঘাসুরা ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামের আবদুল মজিদ (৬৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজামউদ্দিন (৩০)।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নতুন বাজার এলাকার ওই মহাসড়কের পাশে যাত্রীবাহী একটি টেম্পো দাঁড়িয়ে ছিল। বেলা পৌনে একটার দিকে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক্টর সজোরে ধাক্কা দিলে টেম্পোটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, নিহত যাত্রীদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। আহত যাত্রীদের মাধবপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। |
সিএনজি স্টেশনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর দুপুরে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন এ তথ্য জানান। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে হয়রানি করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ এনে আজ সকাল থেকে সারা দেশে ধর্মঘট পালন করছিল সংগঠনটি। দুপুরে পেট্রোবাংলায় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি সচিব মোজ্জাম্মেল হক খান ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করেন সংগঠনটির কর্মকর্তারা। বৈঠকে জানানো হয়, সিএনজি স্টেশন নিয়ে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা নিয়ে একটি কারিগরি কমিটি কাজ করছে। ওই কমিটির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পেট্রোবাংলার ম্যাজিস্ট্রেট কোনো অভিযান চালাবেন না। একই সঙ্গে সংগঠনটির অন্যান্য দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কমিটি গঠন করে সেই সব দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর সংগঠনটি ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। সংগঠনের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ছয় মাস ধরেই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত সিএনজি স্টেশন ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে চলেছেন। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটে একটি সিএনজি স্টেশনে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কর্তাব্যক্তিদের কাছে বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো সুরাহা হয়নি। সংগঠনের নেতারা জানিয়েছিলেন, ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।এদিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ ওঠা ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে নির্বাহী হাকিম আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে পেট্রোবাংলা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলেট নগরের মেন্দিবাগে ‘বেঙ্গল গ্যাসোলিন অ্যান্ড কনভারশন সেন্টারে’ অভিযান চালান। এ সময় তাঁরা প্রতিষ্ঠানটির গত পাঁচ বছরের হিসাব-নিকাশ দেখতে চান। এ নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। |
ফুটবলের দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ইতালি সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০০১ সালে। সেটা ছিল প্রীতি ম্যাচ। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও মুখোমুখি হচ্ছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা, কাকতালীয়ভাবে এটিও একটি প্রীতি ম্যাচ। ইতালি ফুটবল ফেডারেশন গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে, ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৪ আগস্ট, ইতালির রোমে। এবারের ম্যাচটা নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিল। কারণ, এটি উত্সর্গ করা হবে পোপ ফ্রান্সিসকে। আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া ফ্রান্সিস ফুটবলপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। পরিসংখ্যানের আলোয় আলোকিত ইতালি। এ পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচে আর্জেন্টাইনদের মুখোমুখি হয়েছে ইতালীয়রা। এর মধ্যে ইতালি জিতেছে ছয়বার, আর্জেন্টিনা দুইবার। পাঁচটি ম্যাচ ড্র হয়। দুদলের সর্বশেষ লড়াইয়ের দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে আর্জেন্টিনাই। সর্বশেষ দুই লড়াইয়ের দুটিতেই জেতে আর্জেন্টিনা। ২০০১ সালে ইতালির মাটিতে প্রীতি ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় আর্জেন্টাইনরা। এর আগে ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইতালিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ডিয়েগো ম্যারাডোনার দল। সেটাও ছিল ইতালির মাটিতেই। এখন দেখার অপেক্ষা, এক যুগ পর শেষ হাসি হাসে কোন দল, লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা, নাকি মারিও বালোতেল্লির ইতালি। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট। |
ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে আজ শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘ভারতে অধ্যয়ন’বিষয়ক শিক্ষা সম্মেলন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভারতের অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ও লিঞ্চপিন নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এই সম্মেলন কাল পর্যন্ত চলবে।ভারতের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও আবাসিক স্কুল এতে অংশ নিচ্ছে। আজ সকালে শিক্ষা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ সরন।শিক্ষা সম্মেলনে অংশ নেওয়া পাঞ্জাবের লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির পরামর্শক তানভিরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এক-চতুর্থাংশ কম খরচে পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি ভারতের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করে তিনি বলেন, ৬০০ একরের আয়তনের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক বিষয় রয়েছে। বিশ্বের ২৮টি দেশের শিক্ষার্থীসহ ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রী বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন।এমিটি গ্লোবাল বিজনেস স্কুলে কলকাতা ক্যাম্পাসের উপব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) অরিন্দম সেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সারা ভারতে এমিটির ১৩টি ক্যাম্পাস রয়েছে। তাঁদের কলকাতা ক্যাম্পাসে তিন বছরে বিবিএর জন্য খরচ পড়বে সাড়ে তিন লাখ ও দুই বছরে এমবিএ ডিগ্রি অর্জনে খরচ পড়বে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার রুপি।এমিটি গ্লোবাল বিজনেস স্কুলে প্রতিবছর দুটি করে সেমিস্টার রয়েছে। অরিন্দম সেন জানান, এখানে আগামী বছর ২০০টি নতুন বিষয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। বই ও ল্যাপটপ বিনা মূল্যে পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তবে থাকা-খাওয়ার খরচ শিক্ষার্থীদেরই বহন করতে হবে। |
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডনে শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে আলোচনাকালে হেগ এ ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। শেখ হাসিনা লন্ডনে যে হোটেলে অবস্থান করছেন, হেগ সেখানে সৌজন্যসাক্ষাতে গেলে এ বৈঠক হয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হেগের এ বৈঠকে বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সব ধরনের সহিংসতা থেকে নিবৃত থাকতে বাংলাদেশের সবার প্রতি আহ্বান জানান হেগ। একই সঙ্গে সাভারে রানা প্লাজার ভবনধসের ঘটনার কথা উল্লেখ করে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় পোশাকশিল্পে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে সংস্কার বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে উইলিয়াম হেগের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এই শিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং আমি আশা করি, এই ইতিবাচক প্রভাব অব্যাহত থাকবে।’সভায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্ভোগ ও মানবাধিকারের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীর বিয়ে উপলক্ষে লন্ডন সফর করছেন। এরপর তিনি সেখান থেকে সরকারি সফরে বেলারুশ যাবেন। |
বিভিন্ন দেশে আশ্রয়প্রার্থী মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন রাশিয়ার মস্কোতে ট্রানজিট এলাকায় পড়ে আছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছেও আশ্রয় চেয়েছেন তিনি। কিন্তু একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে স্নোডেন হয়ে যেতে পারেন পুতিনেরই প্রতিদ্বন্দ্বী। আজ শুক্রবার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে এমন আভাস পাওয়া গেছে রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে। এই আলোড়নের মূলে রয়েছে একটি বিয়ের প্রস্তাব। স্নোডেনকে বিয়ে করার এই প্রস্তাবটা দিয়েছেন রাশিয়ার লোহিতকেশী সুন্দরী সাবেক গুপ্তচর অ্যানা চ্যাপমান। খবরে বলা হয়, গত বুধবার রাতে চ্যাপম্যানের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট লেখা হয়। এতে লেখা হয়, ‘স্নোডেন, তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?’ পোস্টটি দেওয়ার পর জবাবের জন্য হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন চ্যাপম্যান। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরও স্নোডেনের পক্ষ থেকে কোনো জবাব আসেনি। এতেও হাল ছাড়েননি তিনি। তাই আবারা স্নোডেনের উদ্দেশে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি পোস্ট করেন তিনি। রাজনৈতিক আশ্রয়ের খোঁজে ব্যস্ত স্নোডেন এখনো ওই টুইটের জবাব দেননি। যুক্তরাষ্ট্রের আইনি তাড়া খেয়ে নিরাপদ একটি আশ্রয়ের জন্য ব্যাকুল স্নোডেন। এ পরিস্থিতিতে স্নোডেন এই টুইটের কী জবাব দেবেন, তা দেখার জন্য হয়তো এখনো ব্যাকুল চ্যাপম্যান।এদিকে ৬০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট পুতিন চ্যাপম্যানের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর চ্যাপম্যানের প্রতি এই মুগ্ধতাকে বিভিন্ন পত্রিকা পুতিনের ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ বলে খবর প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে পুতিনের প্রায় অর্ধেক বয়সী স্নোডেনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন চ্যাপম্যান। বিষয়টি জোরালো হলে প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাবেন স্নোডেন।
সিআইএর সাবেক কর্মী স্নোডেন লাখ লাখ সাধারণ মানুষের ফোনকল ও অনলাইন তত্পরতায় মার্কিন প্রশাসনের নজরদারির কথা ফাঁস করে গত ২০ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং চলে যান।
এরপর স্নোডেন গত ২৩ জুন হংকং ছেড়ে রাশিয়া যান। তিনি তখন থেকে মস্কোর শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন। |
মা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত বড় পর্দায় হাজির হননি বলিউডের অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তবে আবার পর্দায় ফিরতে সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন ৩৯ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেত্রী। এরই মধ্যে কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন তিনি।
অনেক দিন ধরেই বড় পর্দায় ফেরার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন ঐশ্বরিয়া। মা হওয়ার পর মুটিয়ে যাওয়ায় অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে তাঁকে। নিয়ম করে শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলেছেন তিনি। এখন বড় পর্দায় ফেরার জন্য তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত। অপেক্ষা কেবল ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।
এ প্রসঙ্গে ঐশ্বরিয়ার কাছের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ছবির চিত্রনাট্য পড়েছেন। সেগুলোর মধ্যে করণ জোহর ও সঞ্জয় লীলা বানসালির মতো নির্মাতাদের ছবিও আছে। অবশেষে সেগুলো থেকে কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঐশ্বরিয়া। ছবির প্রযোজকরা ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলার এখতিয়ার ঐশ্বরিয়ার নেই।
সর্বশেষ ২০১০ সালে ‘গুজারিশ’ ছবিতে দেখা গেছে ঐশ্বরিয়াকে। এরপর ‘হিরোইন’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কয়েক দিন শুটিংও করেছিলেন। কিন্তু হঠাত্ করেই ঐশ্বরিয়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানান তাঁর শ্বশুর ও বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। এরপর ‘হিরোইন’ ছবিতে ঐশ্বরিয়ার পরিবর্তে কারিনা কাপুরকে নেন নির্মাতা মাধুর ভান্ডারকার।
২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর মেয়ে আরাধ্য বচ্চনের জন্ম দেন বলিউডের অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের স্ত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। মা হওয়ার পর থেকে বড় পর্দায় অভিনয় করা থেকে বিরত রয়েছেন ঐশ্বরিয়া। একমাত্র মেয়ে আরাধ্যকে সময় দেওয়ার জন্যই তাঁর এ সিদ্ধান্ত। ঐশ্বরিয়াকে আবার বড় পর্দায় দেখার জন্য প্রায় তিন বছর ধরে অপেক্ষায় আছেন তাঁর অগণিত ভক্ত ও দর্শক। |
মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উত্খাতের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে তাঁর সমর্থকেরা। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি সেনাবাহিনী কীভাবে মোকাবিলা করছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। বিবিসির অনলাইন ও রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়। গতকাল মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র জিহাদ এল-হাদ্দাদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, সামরিক অভ্যুত্থানকে তাঁরা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করছেন। অবিলম্বে মুরসিসহ তাঁর আটক সহযোগীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। হাদ্দাদ বলেন, নতুন সরকারকে কোনোভাবেই সহযোগিতা করবেন না তাঁরা। তিনি জানান, ‘প্রত্যাখ্যানের শুক্রবার’ স্লোগান সামনে রেখে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করবে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকেরা। সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশে বাধা দেওয়া না হলেও যেসব স্থানে বিক্ষোভ হবে, ওই সব এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হবে। মুরসির সমর্থক ও বিরোধীরা যাতে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল মুরসির জন্মশহর জাগাজিগে মুরসির সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় একদল লোক। তাদের হামলায় ৮০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া সংঘাতময় সিনাই উপত্যকায় গতকাল সশস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে।দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, একদল বন্দুকধারী আজ ভোরে সিনাই উপত্যকার এল-আরিশ বিমানবন্দরে গুলিবর্ষণ করেছে। মিসর ও গাজা সীমান্তবর্তী রাফা এলাকার একটি পুলিশ স্টেশনে রকেট ও মর্টার হামলার ঘটনা ঘটে। এতে একজন সেনা নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে মিসরের পরিস্থিতি নিয়ে দোটানায় রয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মিসরের সামরিক ও বেসামরিক খাতে প্রতিবছর ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই অর্থসহায়তা অব্যাহত রাখা হবে কি না, তা পর্যালোচনা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র এ সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিলে মিসরের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়তে পারে।গতকাল মধ্যরাতে মিসরের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও প্রতিবাদের অধিকার সমুন্নত রাখবে তারা। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ করা হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।গতকাল মিসরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালতের শীর্ষ বিচারক আদলি মানসুর। সেনাবাহিনীর রোডম্যাপ অনুযায়ী এবার একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি পত্রিকায় জানানো হয়, আগামী রোববারের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হতে পারে। এরপর পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একটি প্যানেল সংবিধান পর্যালোচনা করে দেখবে।মিসরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লিগের প্রধান আমর মুসা মন্তব্য করেছেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ১২ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। সম্ভব হলে ছয় মাসের মধ্যেই। এটা খুব অসম্ভব কিছু নয়।’ |
মাউসের জনক ডগলাস এঙ্গেলবার্ট ১৯৬৩ সালে তৈরি করেছিলেন বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার-মাউস। এটি তৈরি করার পেছনে ছিল বিশ্বকে বদলে দেওয়ার এক অদম্য ইচ্ছা ও প্রয়াস। যখন মাউস উদ্ভাবন করছিলেন, তখন তিনি ছিলেন ৩০ বছরের যুবক। সদ্য বিয়ে করেছিলেন। গবেষক হিসেবে কাজ করতেন স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। সেখানে বিশাল এক প্রকল্পে কাজ করছিলেন তিনি। বড় বড় কম্পিউটার কীভাবে ছোট করা যায় এবং ভাবনায় নাড়া দেওয়া জিনিসগুলোকে কীভাবে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়, তা নিয়ে ছিল এই প্রকল্প। প্রকল্পটির একটি ক্ষুদ্রাংশ এই মাউস উদ্ভাবন। কাজে লেগে থেকে এক ধরনের বিষণ্নতা আর হতাশা পেয়ে বসেছিল এঙ্গেলবার্টকে। বিয়ের পর তিনি হিসাব করে দেখলেন, তাঁর জীবনের লক্ষ্য সীমিত হয়ে এসেছে। অফিসে গবেষণা ও চাকরি ছাড়া আর কোনো লক্ষ্য নেই। এ উপলব্ধি থেকে মানুষের কল্যাণে কিছু করার কথা ভাবেন। একই সঙ্গে বিশ্বকে সুন্দর করার বিষয়টিও ভাবেন। এ জন্য মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাতে হবে তাঁর। লক্ষ্য পূরণে কম্পিউটার হতে পারে আদর্শ। এবার তিনি শুরু করেন কাজ। ভ্যানেভার বুশের লেখা ‘অ্যাজ উই মে থিংক’ নামের বইটি থেকে অনুপ্রাণিত হন এঙ্গেলবার্ট।কম্পিউটার আর ইন্টারনেটনির্ভর এই বিশ্বে কম্পিউটার চালানোর জন্য এখন অসংখ্য মাউসের ব্যবহার হচ্ছে। ডগলাস এঙ্গেলবার্ট একাধারে মাউসের উদ্ভাবক, আবার তিনি হাইপারটেক্সট, নেটওয়ার্ক কম্পিউটার ও গ্রাফিকস ইউজার ইন্টারফেসেরও গবেষক।এঙ্গেলবার্ট ১৯২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওরেগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িেকৗশল বিষয়ে পড়াশোনা করেন। পরে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে থেকে এমএস এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি এসআরআই ও অগমেন্টেশন গবেষণা কেন্দ্রে কাজ শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি একজন রাডার টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন।১৯৬৩ সালে কম্পিউটারের জন্য বিশ্বের প্রথম মাউসটি তৈরি করেন এঙ্গেলবার্ট। স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এটি তৈরি করেন তিনি। এ হার্ডওয়্যারটিকে ব্যবহারের সুবিধার্থে ‘ইঁদুর’ আকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তাই এর নামও হয়ে যায় ‘মাউস’। এটি একটি ইনপুট ডিভাইস, এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম কমান্ড দেওয়া যায়। মাউসের ফলে কম্পিউটারের গ্রাফিকস ইউজার ইন্টারফেস বা অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয় হয়। স্ট্যানফোর্ডে গবেষণার সময় মাউস আবিষ্কার করায় এর পেটেন্ট যায় স্ট্যানফোর্ডের নামে। তাই মাউস আবিষ্কারের পেটেন্ট থেকে কোনো অর্থ পাননি এঙ্গেলবার্ট। মাউস আবিষ্কারের পর স্ট্যানফোর্ডের গবেষকেরা একে ‘বাগ’ নামে ডাকতে শুরু করেন। তবে মাউসের সঙ্গে ইঁদুরের লেজের মতো তার যুক্ত থাকায় এর নাম ‘মাউস’ রাখেস এঙ্গেলবার্ট। তাঁর দেওয়া নামটিই জনপ্রিয় হয়।প্রথম সেই মাউসটির আকার আজকের পরিচিত মাউসের মতো ছিল না, বরং এটি তৈরি করা হয়েছিল একটি বাক্সের মধ্যে। মাউস নাড়াচড়া করার মতো বিশেষ চাকা ছিল বাক্সে। আকারে এটি ছিল বর্তমান মাউসগুলোর তুলনায় বেশ খানিকটা বড়। এ মাউসটি তৈরি করতে পুরোনো টিন ব্যবহার করা হয়েছিল।সত্তরের দশকে জেরক্সের কম্পিউটারে মাউসের ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৮০ সালে অ্যাপল কম্পিউটার তাদের ম্যাকিনটোশ সিরিজে প্রথম মাউসের ব্যবহার শুরু করেছিল।কম্পিউটার মাউসের উদ্ভাবক ডগলাস এঙ্গেলবার্ট ২ জুলাই ৮৮ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। তাঁর মেয়ে ক্রিস্টিনা এক ই-মেইল বার্তায় এঙ্গেলবার্টের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। |
আগামী ছয় মাস কোনো ধরনের ক্রিকেটে অংশ নেবেন না ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের জাতীয় চুক্তিও ফিরিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। গত মাসে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার হয় ভেট্টোরির। ছয় মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্তের কারণ এটাই। ৩৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানানোর কোনো ইঙ্গিত দেননি। তবে বোর্ডের চুক্তি ফিরিয়ে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাঁর ক্যারিয়ার নিয়েও। এক বিবৃতিতে ভেট্টোরি বলেন, ‘এখন কেবল নিজের সেরে ওঠার কথাই ভাবছি। আগামী ছয় মাস আমার পক্ষে ক্রিকেটে অংশ নেওয়া কঠিন হবে। কবে ফিরতে পারব, তা অনিশ্চিত। আমার মনে হয়েছে, বর্তমান অবস্থায় বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি ধরে রাখাটা ঠিক হবে না।’ গত এক বছর চোটের কারণে যথেষ্টই ভুগেছেন ভেট্টোরি। গত মাসে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেন ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে। নিউজিল্যান্ড প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়ার পরই অস্ত্রোপচারের মুখোমুখি হন কিউই অলরাউন্ডার। ১৯৯৭ সালে ১৮ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় ভেট্টোরির। সেই ভেট্টোরি এখন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ১১২ ম্যাচে শিকার করেছেন ৩৬০ উইকেট। ব্যাট হাতে টেস্টে করেছেন ৪ হাজার ৫১৬ রান। ওয়ানডেতে শিকার করেছেন ২৮৪ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ার বাঁচাতে ২০১১ সালের জুনে সীমিত ওভারের ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। তবে গত বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবসর ভেঙে ফেরেন সাবেক এই অধিনায় |
null |
ভিডিও গেম কারা খেলে? কল্পনা করলে প্রথমেই চোখে ভাসে শিশু-কিশোরের ছবি। কিন্তু বাস্তব বলছে ভিন্ন কথা। যুক্তরাজ্যে চালানো নতুন এক সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে যাঁদের গড় বয়স ৩৫ বছর, তাঁরাই গড়ে বেশি আসক্ত ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিনির্ভর এ খেলার প্রতি। ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য টাইমস’-এর খবরের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার পিটিআই অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়। সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছে ভিডিও গেমারদের সামাজিক নেটওয়ার্ক পিক্সউ ডটকম। গেমার বলে পরিচয় দেওয়া প্রায় দুই হাজার ব্রিটিশ নাগরিকের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। খবরে বলা হয়, ভিডিও গেমে আসক্ত এসব নারী-পুরুষের বার্ষিক আয় গড়ে ২৩ হাজার পাউন্ড। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, ভিডিও গেমে আসক্ত ব্যক্তিরা সপ্তাহে গড়ে ১২ ঘণ্টা ৩২ মিনিট সময় এর পেছনে ব্যয় করেন। দাবি করা হচ্ছে, এই সমীক্ষার মধ্য দিয়ে ভিডিও গেমারদের সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। সমীক্ষা চালানো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী শিশু-কিশোর-তরুণেরাই ভিডিও গেম বেশি খেলে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে নিজের ঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেমে মগ্ন থাকে তারা। তবে গবেষণার ফলাফলে প্রচলিত ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। শুধু বিবাহিত পুরুষ নন, নারীরাও সমানভাবে ভিডিও গেমস খেলেন। এই গেম শুধু শিশু বা তরুণদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রাপ্তবয়স্করাও ভিডিও গেমস খেলছেন, যাঁদের পরিবার আছে, সম্পর্ক আছে, বাইরে কাজ করেন। |
ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী বিপুল ভট্টাচার্য। আজ শুক্রবার সকাল নয়টা ২৫ মিনিটে ধানমন্ডির আহমদ মেডিকেল সেন্টারে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অনেক ভক্ত ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বিপুল ভট্টাচার্যের স্ত্রী কুমকুম ভট্টাচার্য জানান, আজ দুপুরে ছায়ানট মিলনায়তনে বিপুল ভট্টাচার্যের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরে মরদেহ রাখা হবে বারডেমের হিমঘরে। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গুণী এই শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। পরে পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে তাঁর শেষকৃত্য হবে। ২০১০ সাল থেকে বিপুল ভট্টাচার্য ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিত্সার সুবিধার্থে তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৫২ সালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বিপুল ভট্টাচার্য। ১৯৭১ সালে বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে তরুণ বিপুল গানে গানে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত বিপুল ভট্টাচার্যের গাওয়া গান মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। শরণার্থী শিবিরের হাজার হাজার মানুষের মনে সাহস সঞ্চার করেছিলেন তিনি। মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থার সদস্য ছিলেন বিপুল। বিপুল ভট্টাচার্য গান গেয়ে ও শিখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়ার পর তাঁর চিকিত্সার বিশাল খরচ মেটাতে এগিয়ে আসেন সহযোদ্ধারা। |
null |
ইউএইচ ৫৭২ মডেলের হালকা ও পাতলা গড়নের ফুজিত্সু আলট্রাবুক বা লাইফবুক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ আলট্রাবুকে রয়েছে ইনটেলের তৃতীয় প্রজন্মের কোর আই ফাইভ প্রসেসর, ৪০০০ এইচডি গ্রাফিকস, ৪জিবি ডিডিআরথ্রি র্যাম, ৫০০জিবি হার্ডডিস্ক ও ৩২জিবি আইএসএসডিতে তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা। উইন্ডোজ ৮ নির্ভর ফুজিত্সুর দেড় কেজি ওজনের লাইফবুকটি টানা ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারে। ম্যাগনেশিয়ামের কাঠামো এ আলট্রাবুকের দাম ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা সুবিধা দিয়ে ফুজিত্সুর আলট্রাবুক বিপণন করছে কম্পিউটার সোর্স। |
ক্রেডিট কার্ডে তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি চুম্বকীয় ফিতা ব্যবহার করা হয়। লেনদেনের ধরনকে আমূল বদলে দেওয়া ক্রেডিট কার্ডে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ বা চুম্বকীয় ফিতা ব্যবহার করার প্রক্রিয়াটি পঞ্চাশের দশকে উদ্ভাবন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্ভাবক রন কেলিন। প্রযুক্তি বিশ্বে তিনি ‘দ্য গ্র্যান্ডফাদার অব পসিবলিটিস’ নামে খ্যাতি পেয়েছেন। সম্প্রতি ক্রেডিট কার্ড স্ট্রিপ তৈরি ও রন কেলিনকে নিয়ে হাফিংটন পোস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অসাধারণ এক উদ্ভাবন করেও তা থেকে মোটেও আর্থিকভাবে লাভ করতে পারেননি রন কেলিন। অসংখ্য ক্রেডিট কার্ডে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ ব্যবহূত হলেও এর পেটেন্ট থেকে তিনি খুব কম অর্থই পেয়েছেন। কিন্তু উদ্ভাবক হিসেবে তিনি সফলতা আর অর্থ কামিয়েছেন মুরগির পুষ্টি ব্যবস্থার বিশেষ উন্নয়ন করে। রন কেলিন তাঁর উদ্ভাবন সম্পর্কে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রেই ৬০ কোটির বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহূত হচ্ছে। এত সংখ্যক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার সত্ত্বেও এ থেকে কোনো অর্থ পান না তিনি। তবে তাঁর উদ্ভাবন ক্রেডিট কার্ডকে বদলে দিয়েছিল বলেই জানান রন। ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ উদ্ভাবন প্রসঙ্গে রন কেলিন জানিয়েছেন, তিনি যেসময় ক্রেডিট কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ উদ্ভাবন করেছিলেন সে সময় কেনাকাটার প্রক্রিয়াটি জটিল ছিল। তিনি কোরিয়া যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে তিনি টেপ রেকর্ডারে ব্যবহূত তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহূত ফিতা ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়াটি উদ্ভাবন করেন।রন কেলিন জানিয়েছেন, নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ফলে চুম্বকীয় ফিতার এ ক্রেডিট কার্ড বেশিদিন টিকবে না। তাঁর উদ্ভাবিত ক্রেডিট কার্ড পদ্ধতির ভবিষ্যত্ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও এতদিন ধরে এ ক্রেডিট কার্ডের সফল ব্যবহারে খুশি তিনি। |
পবিত্র রমজানে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে লেনদেন হবে। অফিস চলবে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংক কোম্পানির অফিস ও লেনদেন এই সময় অনুযায়ী চলবে। রমজান মাসের পর অফিস ও লেনদেন আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। |
থাইল্যান্ডের উপকূলে আন্দামান সাগরে আংশিক ডুবে যাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি হোপ’ থেকে আজ তিনজনকে জীবিত এবং দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।উদ্ধার হওয়া তিনজন হলেন জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট মুশফিকুর রহমান, জাহাজের দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোবারক হোসেন ও ডেক ক্যাডেট ফাইরুজ। মুশফিকুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহে।জাহাজটির মালিকপক্ষের স্বার্থরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান (পিঅ্যান্ডআই ক্লাবের প্রতিনিধি) ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আবদুল কাদের প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি দল হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আবদুল কাদের জানান, জাহাজটি থেকে ছয়জন নাবিককে উদ্ধার করা গেলেও সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ তাঁদের মধ্যে থেকে তিনজনকে উদ্ধার করা হলো। গতকাল ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে আরও আটজন আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।এখন পর্যন্ত যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাঁরা হলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন রাজীব চন্দ্র কর্মকার, প্রধান কর্মকর্তা মো. মাহবুব মোর্শেদ, প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাইফুদ্দিন, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. নেজাম উদ্দিন, ইলেকট্রিশিয়ান ছাদিম আলী, নাবিক নাসির উদ্দিন, আলী হোসেন ও প্রধান কুক নাসির উদ্দিন।জাহাজমালিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় থাইল্যান্ডের ফুকেত দ্বীপের কাছাকাছি সাগরে জাহাজটি কাত হয়ে যায়। এ সময় ক্যাপ্টেন জাহাজটি বিপজ্জনক মনে করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে নাবিকেরা সাগরে ঝাঁপ দেন। এর মধ্যে পাঁচজন নাবিক লাইফবোটে উঠে সাগরে নেমে পড়েন। পরে কাছাকাছি থাকা এমভি বাক্সমুন নামের একটি কনটেইনারবাহী জাহাজে উঠে তাঁরা রক্ষা পান। আরেকজন নাবিককে সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এমভি হোপ জাহাজটি মালয়েশিয়ার লুমুট বন্দর থেকে ছয় হাজার ৫৪৫ টন সিরামিক তৈরির কাঁচামাল ‘বল ক্লে’ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে আসছিল। এটি আগামী সোমবার বন্দরের বহির্নোঙরে আসার কথা ছিল। প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজটির মালিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ট্রেডব্রিজ শিপিং লাইন লিমিটেড।জাহাজটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে পড়ে জাহাজে বোঝাই করা কাদামাটির মতো পণ্য ‘বল ক্লে’ এক দিকে সরে যায়। এতে জাহাজটি কাত হয়ে পড়ে। থাইল্যান্ডের উপকূলে আন্দামান সাগরে আংশিক ডুবে যাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি হোপ’ থেকে মুশফিকুর রহমান নামের একজনকে জীবিত এবং দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।মুশফিকুর রহমান ওই জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহে। নিহত দুজন হলেন জাহাজের দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোবারক হোসেন ও ডেক ক্যাডেট ফাইরুজ।জাহাজটির মালিকপক্ষের স্বার্থরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান (পিঅ্যান্ডআই ক্লাবের প্রতিনিধি) ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আবদুল কাদের প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি দল হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আবদুল কাদের জানান, জাহাজটি থেকে ছয়জন নাবিককে উদ্ধার করা গেলেও সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ তাঁদের মধ্যে থেকে তিনজনকে উদ্ধার করা হলো। গতকাল ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে আরও আটজন আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।এখন পর্যন্ত যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাঁরা হলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন রাজীব চন্দ্র কর্মকার, প্রধান কর্মকর্তা মো. মাহবুব মোর্শেদ, প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাইফুদ্দিন, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. নেজাম উদ্দিন, ইলেকট্রিশিয়ান ছাদিম আলী, নাবিক নাসির উদ্দিন, আলী হোসেন ও প্রধান কুক নাসির উদ্দিন।জাহাজমালিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় থাইল্যান্ডের ফুকেত দ্বীপের কাছাকাছি সাগরে জাহাজটি কাত হয়ে যায়। এ সময় ক্যাপ্টেন জাহাজটি বিপজ্জনক মনে করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে নাবিকেরা সাগরে ঝাঁপ দেন। এর মধ্যে পাঁচজন নাবিক লাইফবোটে উঠে সাগরে নেমে পড়েন। পরে কাছাকাছি থাকা এমভি বাক্সমুন নামের একটি কনটেইনারবাহী জাহাজে উঠে তাঁরা রক্ষা পান। আরেকজন নাবিককে সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এমভি হোপ জাহাজটি মালয়েশিয়ার লুমুট বন্দর থেকে ছয় হাজার ৫৪৫ টন সিরামিক তৈরির কাঁচামাল ‘বল ক্লে’ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে আসছিল। এটি আগামী সোমবার বন্দরের বহির্নোঙরে আসার কথা ছিল। প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজটির মালিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ট্রেডব্রিজ শিপিং লাইন লিমিটেড।জাহাজটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে পড়ে জাহাজে বোঝাই করা কাদামাটির মতো পণ্য ‘বল ক্লে’ এক দিকে সরে যায়। এতে জাহাজটি কাত হয়ে পড়ে। |
নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন আগামীকাল শনিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। আজ শুক্রবার সকাল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, সিল মোহর ও ভোটার তালিকা পাঠানো শুরু হয়েছে।গত ৭ জানুয়ারি দুটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় দেশের ১১তম সিটি করপোরেশন। এখানে মোট ভোটার ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন।মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী, ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২৮ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৯২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে।প্রচারণার শেষ দিন দুই বড় জোটের মেয়র প্রার্থীরা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস দেন।র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১) অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত জানান, নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১২ প্লাটুন সদস্য, ৮৪৭ জন র্যাব ও আনসার সদস্যসহ ১১ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে র্যাবের ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার টহল ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান জানান, উত্সবমুখর পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন আশাবাদী।সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যিনিই মেয়র নির্বাচিত হন না কেন, ফলাফল মেনে নিয়ে নগরের প্রথম মেয়রকে সবাই সহযোগিতা করবেন, এমনটা প্রত্যাশা গাজীপুরবাসীর। |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা করলেন গত পরশু। এর এক দিন পরই গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন ইকবাল কাশিম। ইকবাল কাশিম ঠিক কী কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন, এ নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর, দল নির্বাচন নিয়ে তাঁর সঙ্গে কোচ ডেভ হোয়াটমোর, অধিনায়ক মিসবাহ উল-হক এবং টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজের দ্বন্দ্বের কারণেই সরে দাঁড়িয়েছেন কাশিম। তবে খবরটা ‘সত্য নয়’ বলে দাবি ইকবাল কাশিমের, ‘কারও সঙ্গেই আমার বিবাদ নেই। পিসিবির কর্মকর্তাদের বলেছি, আমি আমার মেয়াদ শেষ করেছি। পরবর্তী দল নির্বাচনের জন্য আপনারা নতুন প্যানেল নির্বাচন করতে পারেন।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কাশিমের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেছেন পিসিবির অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান নজম শেঠি। এক বিবৃতিতে কাশিমের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘দেশকে দারুণ সেবা দিয়েছেন কাশিম। তাঁর প্রতি শুভকামনা রইল। আশা করছি, আগামী দিনেও ক্রিকেট-সংক্রান্ত ব্যাপারে দলকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেবেন তিনি।’ গত মাসে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান। এর পরই প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়ে কাশিমের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি। গত বছরের মার্চে দায়িত্ব পান কাশিম। এর আগেও অবশ্য পাকিস্তান দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট ও ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হওয়ার পর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন ৫০ টেস্ট খেলা সাবেক বাঁহাতি এই স্পিনার। |
রাজধানীর সদরঘাট-গাবতলী নৌপথে আবারও চালু হলো ওয়াটার বাস। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো উদ্বোধন করা হলো এর কার্যক্রম।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গাবতলী এলাকার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ল্যান্ডিং স্টেশনে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। আগে দুবার সম্পূর্ণ সরকারি বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধানে চললেও এবার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)।প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর গাবতলী ও সদরঘাট থেকে একটি করে ওয়াটার বাস ছেড়ে যাবে। যাত্রীপ্রতি ভাড়া গাবতলী থেকে বসিলা ২৫ টাকা, খোলামোড়া ৩০ ও সোয়ারীঘাট ৩৫ টাকা এবং বাদামতলী ও সদরঘাট পর্যন্ত ৪০ টাকা। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া (এক ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে পরের স্টেশন) ১০ টাকা।এ সেবা সম্পর্কে গাবতলীর বাসিন্দা রসুল মিয়া বলেন, ‘এ পথে সোয়ারীঘাট বা সদরঘাটে যানজট ছাড়া সহজে যাওয়া যাবে। তবে এ ভাড়া আমাদের মতো শ্রমজীবী মানুষের জন্য অনেক বেশি।’ভাড়া সম্পর্কে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ভালো ও আরামদায়ক পরিবহনে সব সময় ভাড়া বেশি। নির্ধারিত ভাড়ার পরও যাত্রীপ্রতি ভর্তুকি দিতে হবে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আমরা ভর্তুকি দিয়ে হলেও এ সেবা চালু রাখতে চাই।’রাজধানীর বৃত্তাকার নৌপথের সদরঘাট-গাবতলী প্রথম পর্বের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আশুলিয়া ও শ্যামপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এ জন্য প্রতিস্থাপন করতে হবে রাজধানীর ১৩টি সেতু।২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো ওয়াটার বাসের যাত্রা। কিন্তু মাস খানেক চালু থাকার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১০ আগস্টে। এ যাত্রায় টেকে মোটে ১১ মাস। ওই বছর এ সেবা চালু রাখতে ভারত থেকে ১০টি ওয়াটার বাস আনার বন্দোবস্ত চূড়ান্ত হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়।এ ব্যাপারে নৌমন্ত্রী গতকাল বলেন, দুটি বাস দিয়ে সময়সূচি ঠিক রাখতে না পারা এবং সরকারি সহযোগিতার অভাবে তখন এ সেবা বন্ধ হয়।এবার এ সেবা কার্যক্রমে থাকছে পুরোনো দুটি বাসসহ নতুন চারটি ওয়াটার বাস। নতুন চারটি বাস তৈরি করেছে কেরানীগঞ্জের ঢাকা ডকইয়ার্ড লিমিটেড। এ বাসগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৯ মিটার, প্রস্থ সাড়ে চার মিটার, আসনসংখ্যা ৮০টি ও গতিবেগ ঘণ্টায় ১২ নটিক্যাল মাইল। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ বর্তমান ছয়টির সঙ্গে আরও চারটি ওয়াটার বাস এই রুটে চালু করা হবে। তখন প্রতি ২০ মিনিট পর পর একটি করে বাস ছাড়া সম্ভব হবে। |
র্যাবের গুলিতে পা হারানো ঝালকাঠির কলেজছাত্র লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করায় উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাঁরা এ উদ্বেগ জানান।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঝালকাঠির রাজাপুরের কলেজছাত্র লিমন হোসেনকে অস্ত্র আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন খারিজ করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হওয়ার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রায় দুই বছর তিন মাস আগে র্যাবের সদস্যদের গুলিতে আহত হন লিমন। তাঁর জীবন বাঁচাতে বাঁ পা কেটে ফেলতে হয়। সে সময় দরিদ্র পরিবারের এ কিশোরের প্রতি র্যাব সদস্যদের নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে দেশের মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আরও জানতে পেরেছি, লিমনকে অন্যায়ভাবে গুলি করায় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ডিএডি লুৎফর রহমানসহ র্যাবের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল একটি মামলা করেন। এ মামলায় র্যাব সদস্যদের অব্যাহতি চেয়ে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। ঠিক এমন একটি অবস্থায় আমরা লিমনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার মানবিক বিবেচনা আশা করছি।’ বিবৃতিদাতারা হলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, রুবি গজনবী, খুশী কবির, সোনিয়া নিশাত আমীন, রোকেয়া কবীর, রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক এম এম আকাশ, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, তাহেরা ইয়াসমিন, সারা যাকের, শিরীন হক, নাসিমুন আরা মিনু, গীতি আর নাসরিন, ফারাহ কবীর, কাবেরী গায়েন, সাগর লোহানী ও শিপ্রা বোস। |
কিশোরগঞ্জের উপনির্বাচনে ভোট ডাকাতির মহড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিজেদের দিকে নিতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ও উত্তরায় দুটি ‘সেল’ গঠন করা হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব অভিযোগ করেন।মির্জা ফখরুল বলেন, কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে যেখানে এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে যেতে তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে আধা ঘণ্টার মধ্যে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ মিনিটের মধ্যে তিন ধরনের ফল হয়েছে। একবার বলা হয়েছে, বিজয়ী প্রার্থী এক লাখ ৫৬ হাজার ভোট পেয়েছেন, আরেকবার বলা হলো এক লাখ ৫৬ ভোট এবং সর্বশেষ বলা হলো ৯৯ হাজার ভোট পেয়েছেন। তিনি বলেন, অথচ কয়েক দিন আগে অনুষ্ঠিত চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রের দূরত্ব ছিল ২০-২৫ মিনিটের, সেখানে ফল পেতে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, কিশোরগঞ্জে সবকিছু সরকারের পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। এই উপনির্বাচনের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে, এ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়।গাজীপুরের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সরকার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এবং যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে উত্তরায় একটি সেল গঠন করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছেন।এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নিতে সরকার ভয়াবহ চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। গাজীপুর দখলে নেওয়ার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ব্যবহার করে সরকার জনগণের রায় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ জন্য ঢালাওভাবে দলীয় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য একটি বিশেষ জেলার পুলিশ সদস্যদের আনা হচ্ছে। অর্থের খেলা হচ্ছে বিভিন্নভাবে।জরিপে জনপ্রিয় নেতা হাসিনা-খালেদা-তারেক: গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জাসাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ‘তারেক রহমান—আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল দাবি করেন, একটি নামকরা বিদেশি সংস্থার জরিপে দেশের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তিনজনের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। |