content
stringlengths
1
63.8k
গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এসে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ) সভাপতি লিয়ান্দ্রো নেগ্রে ভতুর্কি মূল্যে একটি অ্যাস্ট্রো টার্ফ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন অ্যাস্ট্রো টার্ফ দেশে আসেনি। কবে নাগাদ তা আসবে সেটি নিয়েও সংশয় আছে। অ্যাস্ট্রো টার্ফের বর্তমান বাজারমূল্য ৩ লাখ ডলার (প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা)। কিন্তু এফআইএইচ থেকে টার্ফের খরচ বাবদ বাংলাদেশ পাবে দেড় লাখ ডলার। বাকি দেড় লাখ ডলারের অর্ধেকটা দেবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। বাংলাদেশকে দিতে হবে বাকি ৭৫ হাজার ডলার (প্রায় ৬০ লাখ টাকা)। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই অর্থ জোগাড় করতে পারেনি হকি ফেডারেশন।এফআইএইচ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, ৭৫ হাজার ডলারের নিশ্চয়তা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টার্ফ পাঠানো হবে বাংলাদেশে। হকি ফেডারেশনের অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন আশাবাদী, ‘খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই টাকাটা সরকারের কাছ থেকে পেয়ে যাব।’ টার্ফের টাকার জন্য গত জুনের শেষ সপ্তাহে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হকি ফেডারেশন সভাপতি এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী। মন্ত্রীর কাছে নতুন টার্ফ স্থাপন ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ টাকার একটা বাজেট দেওয়া হয়। ফেডারেশন সভাপতির প্রতিনিধি উইং কমান্ডার রাফিউল হক জানান, ‘মন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন টাকার ব্যাপারে। আপাতত আমাদের ৬০ লাখ টাকা দিতে হবে এফআইএইচকে। এই টাকার নিশ্চয়তা পেলে দ্রুতই টার্ফ বাংলাদেশে পাঠাবে এফআইএইচ।’ নতুন টার্ফটি মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে বসানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা আছে ফেডারেশনের। সে ক্ষেত্রে পুরোনো টার্ফটি তুলে নিয়ে রাজশাহী বা দিনাজপুর বিকেএসপিতে বসানো হতে পারে। টার্ফের পাশাপাশি ঝুলে পড়েছে ফ্লাডলাইট বসানোর উদ্যোগও। হকির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কর্মকর্তারা ফ্লাডলাইট প্রসঙ্গটা যেন ভুলেই বসে আছেন! এফআইএইচের সহযোগিতা প্রকল্প থেকে পাওয়া কোচ মিশেল কিনানের দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আসার ব্যাপারটাও পিছিয়ে পড়েছে। ২৫ জুন ঢাকায় আসার কথা ছিল এই ডাচ কোচের। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে দায়িত্ব থাকায় পরিকল্পনা বদলে ফেলেছেন কিনান। আসতে পারেন এ মাসের শেষের দিকে।
বার্মি আর্মির নাম শোনেননি এমন ক্রিকেটপ্রেমী খুঁজে পাওয়া কঠিন। ইংল্যান্ডের সব খেলায় গ্যালারি মাতিয়ে রাখে এই পাঁড় সমর্থক দল। আর গগনবিদারী বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বিলি কুপার হয়ে উঠেছিলেন বার্মি আর্মির অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু সামনের সপ্তাহে ট্রেন্টব্রিজ টেস্ট দিয়ে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজে ট্রাম্পেট বাজাতে পারবেন না কুপার। ট্রেন্টব্রিজ কর্তৃপক্ষ এই বাদ্যযন্ত্র বাজাতে দেবে না। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুখর ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররাও। গ্রায়েম সোয়ান ও ম্যাট প্রায়রও টুইট করে জানিয়েছেন তাঁরা কুপারের পাশেই আছেন। কেভিন পিটারসেন তো আরেক ধাপ এগিয়ে বলেছেন সিদ্ধান্তটা ইংলিশ ক্রিকেটের জন্যই বিরাট লজ্জা। এএফপি।
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ছাড়া গণতন্ত্র শক্তিশালী হতে পারে না।গতকাল শনিবার মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের এক আলোচনা সভায় বক্তারা ওই সব কথা বলেন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক অনুদান, গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের এককালীন বৃত্তি প্রদান, প্রশিক্ষিত ও অসচ্ছল নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ, কম্পিউটার ও সেলাই প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ বিতরণ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাংসদ সৈয়দ মহসীন আলী, সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিন, সাংসদ নওয়াব আলী আব্বাস খান, সাবেক সাংসদ হোসনে আরা ওয়াহিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৯৮ জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে আর্থিক অনুদান, ৭০ জন প্রশিক্ষিত ও অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন, ২৫৭ জন গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২৪৫ জন কম্পিউটার ও সেলাই প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়েছে।
কুমিল্লার জেলা রেজিস্ট্রার লুৎফুর রহমানকে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে দলিল লেখক সমিতি। অন্যথায় পরের দিন থেকে টানা তিন দিন কর্মবিরতি পালন করা হবে। এর আগে ২৫ জুনের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সমিতি।জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব সাদেকুর রহমান জানান, গতকাল দুপুরে শহরের আদালত সড়কে সমিতির কার্যালয়ে এক সভা হয়। সভায় ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রারকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় ১৬ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে। তিনি বলেন, ‘জেলা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় আমরা আন্দোলন করছি।’এ ব্যাপারে লুৎফুর রহমান বলেন, ‘দলিল লেখক সমিতির দাবি অযৌক্তিক। আমি কোনো ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই।’
উইম্বলডনের রানারআপ সাবিনা লিসিকির অনেক ডাকনামের একটি ‘ডরিস বেকার’। স্বদেশি গ্রেট বরি
দুই হাতে মুখ ঢাকলেন। হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন সবুজ ঘাসে। দুই চোখ দিয়ে ঝরছে আনন্দাশ্রু। এরপর ছুটে গেলেন গ্যালারিতে। বাবা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বাঁধলেন আলিঙ্গনে। আপ্লুত মারিওন বারতোলি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, একটু আগেই উইম্বলডনের নতুন রানি হয়েছেন! সেই ২০০৬ সালে সর্বশেষ ফরাসি হিসেবে উইম্বলডনের মহিলা একক জিতেছিলেন অ্যামেলি মরেসমো। পরের বছরই সেই কীর্তি পুনরাবৃত্তির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন বারতোলি। কিন্তু ফাইনালে ভেনাস উইলিয়ামসের কাছে হেরে স্বপ্নটা চুরমার হয়ে যায়। ছয় বছরের অপেক্ষার অবসান হলো এবার। সাবিনা লিসিকিকে ৬-১, ৬-৪ গেমে হারিয়ে হাতে নিলেন নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। আর কী অদ্ভুত কাকতাল, জয়টা এসেছে পূর্বসূরির শিখিয়ে দেওয়া মন্ত্রেই। সেই মরেসমোই এবার বারতোলির কোচ! প্রভাত সব সময় দিনের আসল পূর্বাভাস দেয় না। নইলে কে ভেবেছিল প্রথম গেমেই বারতোলির সার্ভিস ভাঙার পর এভাবে পথ হারিয়ে ফেলবেন লিসিকি? তবে ২৮ বছর বয়সী ফরাসিনিকে কৃতিত্বটা দিতেই হবে, পরের ছয় সেটে পাত্তাই দেননি প্রতিপক্ষকে। যেন ঠিকই করে রেখেছিলেন নিজের সেরাটা খেলবেন ফাইনালেই! যা একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে দ্বিতীয় সেটেই। সেখানেও বারতোলি এগিয়ে গিয়েছিলেন ৫-১-এ। কিন্তু টানা তিন গেম জিতে ফিরে আসেন লিসিকি। আরেকটা দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন দেখার অপেক্ষায় নড়েচড়ে বসেছিল সেন্টার কোর্টের দর্শক। কিন্তু সেটা হয়নি। বারতোলি সাময়িক হকচকিত ভাব কাটিয়ে জিতে নিলেন শেষ সেটটাও। একই সঙ্গে গড়লেন কিছু মাইলফলক। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম শীর্ষ দশের বাইরে কেউ উইম্বলডন জিতলেন। আর উন্মুক্ত যুগে বারতোলির চেয়ে বেশি বয়সে উইম্বলডন জিতেছেন মোটে চারজন।ম্যাচ জিততে সময় লেগেছে মাত্র ৮১ মিনিট। জয়ের পর যেন উচ্ছ্বাস বাঁধ মানছিল না বারতোলির, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছি না। সেই ছোট্ট থেকেই তো এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছি। এইস করে উইম্বলডন জেতা, স্বপ্নেও এটা ভাবিনি আমি। ট্রফিটা হাতে ধরতে পেরে আমি খুবই খুশি।’ সমবেদনা ঝরল লিসিকির জন্যও, ‘আমি ২০০৭ সালে উইম্বলডন জিততে পারিনি। আমি জানি অনুভূতিটা কেমন। আমি নিশ্চিত সে এখানে আবার ফিরে আসবে।’ এএফপি।
ফাটল দেখা দেওয়ায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে তা ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে বিদ্যালয়গুলোর ক্লাস কোথায় হবে সে ব্যাপারে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরও নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে, বিদ্যালয়সংলগ্ন বাড়িতে, ক্লাবে বা পরিত্যক্ত ভবনেই পড়াশোনা করতে হচ্ছে তাদের।ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা বিদ্যালয়গুলো হলো রাধানগর, কালিকাবাড়ি, ফাজিলাবাড়ি, পাতিলাপাড়া, চকমধুপুর, মহিষালোহা ও হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে প্রথম পাঁচটি বিদ্যালয় এত দিন বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, জাতীয়করণ করা হয়েছে।গত ১২ জুন সাটুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাবেরা সুলতানা বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের কাছে পত্র পাঠান। পত্রে পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে কোনো প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক ও শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা না করার নির্দেশ দেন এবং অস্থায়ী বা বিকল্প স্থানে পাঠদানের ব্যবস্থা করারও অনুরোধ জানান।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়গুলোর বিম, পিলার ও দেয়ালে বড় ধরনের ফাটল। রাধানগর, ফাজিলাবাড়ি ও মহিষালোহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল বিদ্যালয়ের মাঠে। চকমধুপুর বিদ্যালয়ের ২১৭ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে পাঠদান করা হচ্ছিল পাশের ছনকা যুব ও ক্রীড়া সংঘের একটি ঘরে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাতেম আলী বলেন, বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর থেকে এই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা সেখানে ক্লাস করতে চায় না। এ কারণে তাদের উপস্থিতিও কমে গেছে।কালিকাবাড়ি ও পাতিলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই। এ ব্যাপারে কালিকাবাড়ি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন ও পাতিলাপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয় ভবনেই পাঠদান অব্যাহত রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ভয়ে বিদ্যালয়ে আসে না।রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বাবুল চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের তহবিলে কোনো অর্থ না থাকায় এবং স্থানীয়ভাবে অনুদান সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।বাবুল চক্রবর্তী বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সরকারিভাবে অনুদান বা ভবনের ব্যবস্থা করা না হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যা বলেন: সাবেরা সুলতানা বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলী জিয়াউর রহমানের মতামতের ভিত্তিতে সাত সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাতটি বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদান অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হঠাৎ করেই দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। গত পাঁচ দিনেই মারা গেছেন ১১ জন। তাদের মধ্যে একই পরিবারের চার সদস্য, চারজন যানবাহন চালক, পুলিশের দুই সদস্য ও অজ্ঞাতনামা এক বাসচালক রয়েছেন।সর্বশেষ গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার সাভারের যাদুরচর এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাস একটি কাভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দিলে বাসের এক যাত্রী মারা যান। আহত হন বাসের কমপক্ষে পাঁচজন।সাভার মডেল থানার পুলিশ জানিয়েছে, কাভার্ড ভ্যানটি হঠাৎ করে রাস্তার এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাসযাত্রীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।এর আগে শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আনন্দ সুপার পরিবহনের একটি বাস পশ্চিম পাশ থেকে পূর্ব পাশে যাওয়ার সময় উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী টিআর পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে জোরে ধাক্কা খায়। বাস দুটি পাশের খাদে পড়ে চালক জামিল হোসেন ও মনু মিয়া মারা যান। আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন।এ ব্যাপারে কথা হয় সাভারে বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক রফিকুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে। সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রফিকুল বলেন, অধিকাংশ চালকই অদক্ষ এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞ। যেসব চালকের লাইসেন্স আছে, তাঁদেরও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। এসব চালকেরাই দুর্ঘটনার মূল কারণ।মঙ্গলবার থেকে শুরু: পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গত মঙ্গলবার সকালে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান হাবিবুর রহমান নামের এক কনস্টেবল। তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানার ওয়্যারলেস অপারেটর ছিলেন। পরদিন বুধবার ঢাকার ধামরাইয়ের ইসলামপুরে বালুবাহী একটি ট্রাকের চাপায় মারা যান এক অটোরিকশাচালক ও একই পরিবারের চার সদস্য।বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের নবীনগরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহরাব হাসান ও রিকশাচালক মিজানুর রহমান। আহত হন রিকশার তিন যাত্রী। ঢাকাগামী একটি বাস একটি ব্যক্তিগত গাড়িকে চাপা দিয়ে পালানোর সময় সোহরাব বাসটি থামার সংকেত দিলেও চালক না থামিয়ে ওই কনস্টেবলসহ একটি রিকশার ওপর তুলে দিলে দুর্ঘটনা ঘটে।পুলিশের বক্তব্য: সাভার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক হামিদুজ্জামান বলেন, গত পাঁচ দিনে পাঁচটি দুর্ঘটনার জন্য চালকদের অদক্ষতা ও অসাবধানতাই দায়ী। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এসব তথ্যই পাওয়া গেছে। এসব চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে পরিদর্শক বলেন, প্রতিদিনই মামলা করা হচ্ছে। কিন্তু চালকদের গাড়ি চালানোর ধরন পাল্টাচ্ছে না।যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অদক্ষ চালকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তাঁরা জানেন না সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়ার সময় (ইউ টার্ন) কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীর (১৪) দুই হাত ব্লেড দিয়ে জখম করেছেন এক তরুণ। গতকাল শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার নবগ্রামে এই ঘটনা ঘটে।ওই তরুণের নাম জাহিদ হোসেন (২২)। সদর উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের জাহিদ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের স্নাতক (পাস) প্রথম বর্ষের ছাত্র।সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি ও তার স্বজনেরা জানান, দুই বছর ধরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে জাহিদ তাকে উত্ত্যক্ত করেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় নবগ্রাম এলাকায় জাহিদ মেয়েটির পথ আটকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় জাহিদ প্যান্টের পকেট থেকে ধারালো একটি ব্লেড বের করে মেয়েটির দুই হাতে দুটি পোঁচ দেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান স্থানীয় লোকজন।হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মেয়েটির ডান হাতে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাঁ হাতেও মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। দুই হাতেই ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।মেয়েটির ভাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি আমরা আগেই জানতাম। কিন্তু বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বোনকে সাবধানে চলাচলের উপদেশ দিয়েছিলাম।’নবগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চ্যাটার্জি জাহিদকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে বখাটেরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে ভিড় জমায়। মেয়েরা প্রায়ই ওই বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে আসছে। এসব বিষয় নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার আলোচনা করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।সদর থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর ভাই জাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। জাহিদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রতিবছর উইম্বলডন আসে, ব্রিটিশরা আশায় বসতি গড়ে। প্রতিবছর উইম্বলডন আসে, ঘুরেফিরে আসে একটি নাম। ফ্রেড পেরি। আর প্রতিবছর উইম্বলডন বিদায় নেয় ব্রিটিশদের হাহাকার বাড়িয়ে। সেই ১৯৩৬ সালে সর্বশেষ ব্রিটিশ হিসেবে উইম্বলডনের পুরুষ একক জিতেছিলেন পেরি। এরপর ৭৭ বছর কেটে গেছে ব্রিটেনের সেই স্মৃতি রোমন্থন করেই। গতবার ফাইনালে উঠে পেরির কীর্তি ছোঁয়ার খুব কাছে চলে এসেছিলেন অ্যান্ডি মারে। কিন্তু রজার ফেদেরার নামের এক জাদুকরের কাছে হেরে নিজে কেঁদেছিলেন মারে, কাঁদিয়েছিলেন পুরো যুক্তরাজ্যকে। সেই দুঃস্মৃতি ভোলার, ইতিহাসের দায় মেটানোর আরেকটি সুযোগ খুব দ্রুতই পেয়ে গেলেন মারে। আবারও ফাইনালে উঠেছেন। আজকের ফাইনালে প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচ।  ফাইনালে র‌্যাঙ্কিং ও বাছাইয়ের সেরা দুই খেলোয়াড়কে দেখে বোঝার উপায় নেই কী অঘটনের ঝড়ই না বয়ে গেছে এবারের উইম্বলডনে। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলেন জোকোভিচ-মারে। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামটা জিতেছিলে জোকোভিচ। উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে দুজনের একমাত্র দ্বন্দ্বযুদ্ধের বিজয়ীর নাম অবশ্য মারে। গত বছর অলিম্পিকে সোনা জয়ের পথে এই উইম্বলডনেই জোকোভিচকে হারান। এরপর জোকোভিচকে হারিয়ে ইউএস ওপেনটাও জিতেছেন। যেটি ৭৬ বছর পর ব্রিটিশদের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়। তবে ইউএস ওপেন নয়, উইম্বলডন ফাইনালটাই নাকি অনেক কিছু শিখিয়েছে মারেকে, ‘একটা জিনিস আমি শিখেছি বড় ম্যাচগুলো কীভাবে খেলতে হবে।’ আজ নিজের সপ্তম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে সেই শিক্ষাটা কাজে লাগিয়ে ব্রিটিশদের উইম্বলডন জয়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষা ঘোচাতে পারবেন মারে? প্রতিপক্ষ কিন্তু কঠিন। ছয়টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক জোকোভিচের এটা একাদশ ফাইনাল। পরশু সেমিফাইনালে পাঁচ সেটের এক রেকর্ড ম্যাচে হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোকে হারিয়েছেন জোকোভিচ। চার সেটের লড়াইয়ে মারে ৬-৭ (২/৭), ৬-৪, ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন পোলিশ বিস্ময় ইয়ার্জি ইয়ানোভিচকে।৪ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড সেমিফাইনাল, জোকোভিচ কি একটু ক্লান্তই থাকবেন না? সার্বিয়ান এক নম্বর কিন্তু সে সম্ভাবনা উড়িয়েই দিলেন। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনের ফাইনালে নাদালের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটের মহাকাব্যিক এক ম্যাচ, সেই উদাহরণ টানলেন জোকোভিচ, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমি এবারই প্রথম পড়িনি। এর চেয়েও খারাপ অবস্থায় পড়েছি, ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনটাই যেমন। এ ছাড়া আরও বেশ কবার এই পরিস্থিতি উতরেই আমি শিরোপা জিতেছি, খেলেছি আরেকটি ছয় ঘণ্টার ম্যাচ।’জোকোভিচের বিশ্বাস, সদ্য প্রয়াত তাঁর প্রথম কোচ ইয়েলেনা জেনসিচের স্মৃতির উদ্দেশেই এবারের উইম্বলডনটা উৎসর্গ করতে পারবেন। মারে কি সেটা হতে দেবেন? ইতিহাসের দায় কাঁধ থেকে নামানোর আরেকটি সুযোগ কি পায়ে দলবেন এই স্কটিশ? মারে-জোকোভিচ যে-ই জিতুন, আরেকটি মহাকাব্যিক লড়াই হলে জিতবে টেনিসই। এএফপি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ওরফে ক্যাঙ্গারু পারভেজকে গতকাল শনিবার আটক করা হয়েছে। বিকেলে ঢাকার গুলশান ২ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রধারী লোকজন পারভেজকে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী সোহানা বেগম।নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন পারভেজকে আটকের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের অনুগত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং পরিবহন শ্রমিকেরা সন্ধ্যা সাতটা থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় বাস-ট্রাক এলোপাতাড়ি রেখে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পাগলা সড়ক এবং নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। চরম দুর্ভোগে পড়ে নারী ও শিশু যাত্রীরা। আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত পারভেজকে খুঁজে বের করার সময় বেঁধে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।নারায়ণগঞ্জের নাগরিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা রফিউর রাব্বি তাঁর মেধাবী ছেলে তানভীর হত্যার ঘটনায় জেলা পুলিশ প্রশাসনকে যে অবগতিপত্র দিয়েছিলেন, তাতে পারভেজকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে।পারভেজের স্ত্রী সোহানা বেগম সাংবাদিকদের জানান, বিকেল চারটার দিকে পারভেজ ও তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে নারায়ণগঞ্জের দিকে আসছিলেন। গুলশানের ২ নম্বর সেক্টরে গাড়িটি আসামাত্র একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে আসা ১০-১২ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি গাড়িটির গতিরোধ করেন। তখন ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পারভেজকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ওই মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এর পর থেকেই পারভেজ নিখোঁজ রয়েছেন।সোহানা বলেন, পারভেজকে তুলে নেওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিলেও ঢাকার ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা পারভেজকে আটকের কথা অস্বীকার করে।নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী খোকন সাহা ও সোহানা পারভেজ রাতে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে খোকন সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ বিকেল চারটার মধ্যে পারভেজকে খুঁজে বের করতে পুলিশ প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়েছি।’নারায়ণগঞ্জ ক-অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান জানান, জেলা পুলিশ প্রশাসন পারভেজকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি। তাঁকে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সংস্থা আটক বা গ্রেপ্তার করেছে কি না, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার ভোরে কার্যালয়ের প্রধান সহকারীর কক্ষে আগুন লেগে কক্ষের আসবাবসহ শতাধিক নথি পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এম আল-আমিন ও স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।এর আগে গত ২৬ জুন সকালে ওই কার্যালয়ের নাজির-কাম কোষাধ্যক্ষের কক্ষের জানালা ভেঙে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই দিনের আগুনে বিভিন্ন নামজারি খতিয়ানের বই পুড়ে যায়।ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঠিক একই কায়দায় গতকাল সকালে প্রধান সহকারী আবদুল মোতালিবের কক্ষের পেছনের জানালার কাচ ভেঙে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ওই কক্ষের আসবাবসহ শতাধিক নথি পুড়ে গেছে।১০ দিনের ব্যবধানে একই কার্যালয়ে দ্বিতীয়বার অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হাসানুল মতিন গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সহকারী কমিশনার কে এম আল-আমিন বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এর আগেও ঠিক একই কায়দায় দুর্বৃত্তরা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছিল। কারা কেন আগুন লাগাচ্ছে, এখনো জানা যায়নি।’সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান খান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পেচাইন রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে গত মে মাসে। এখন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে একটি মুরগির খামারে।উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেচাইন রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। পরে বিদ্যালয়ের জন্য চার কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। দুই বছর ধরে ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। গত মে মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর এক মাস বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ছিল। গত ১ জুন বিদ্যালয়ের পাশের একটি মুরগির খামারের ভেতরে পাঠদান শুরু হয়।গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মুরগির খামারের ভেতরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধের মধ্যে শিশুরা ক্লাস করছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক নার্গিস আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৪ জন। তিনিসহ চারজন শিক্ষক এখানে শিক্ষকতা করেন। তিনি জানান, আর কোনো বিকল্প না থাকায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর থেকে মুরগির খামারের ভেতরে পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে জানান, বিদ্যালয় ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যালয়টির নতুন ভবন প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের প্রত্যন্ত এক গ্রাম বিজবেহারা। জীবনধারণই সেখানে সংগ্রামের অন্য নাম। প্রকৃতি আর মানবসৃষ্ট হাজারো প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই চলে নিত্য। ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধা কেমন, বলা বাহুল্য! তবু অনুশীলনের একটু জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন তিনি। পরশু নিজের মতো করেই অনুশীলন করছিলেন ঝিলম নদীর পারে। হঠাৎই একটি ফোনকল চিরচেনা আবহটাকে দিল পাল্টে। আর দশটা দিনের মতো সাধারণ দিনটিই হয়ে উঠল জীবনের সেরা দিন। জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তার ফোনে পারভেজ রসুল পেলেন স্বপ্নপূরণের খবর। জায়গা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ে সফরের ভারতীয় দলে! চকিতে কি চার বছর আগের সেই দিনটির কথা উঁকি দিল? জম্মু ও কাশ্মীর অনূর্ধ্ব-২২ দলের হয়ে সি কে নাইডু ট্রফিতে খেলতে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। কাশ্মীরি তরুণকে সেবার জঙ্গি সন্দেহে আটক করেছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। প্রমাণের অভাবে পরে ছাড়া পান। জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেছিল কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে। সতীর্থরা রসুলের জন্য করেছিলেন মানববন্ধন।২০ বছরের এক তরুণের মনোজগতে তো বিশাল এক ধাক্কা! চোট লাগার কথা আত্মবিশ্বাসেও। কিন্তু জন্ম থেকেই যিনি দেখে এসেছেন ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ চারপাশ, জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ আর যুদ্ধ-বিগ্রহ, ক্রিকেট শিখেছেন হাজারো প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে, তিনি কি আর এত সহজে দমে যাওয়ার পাত্র! পথের কাঁটাগুলোকে ফুল বানিয়ে নিয়েছেন রসুল। নিষ্ঠা, অধ্যবসায় আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে অটুট থেকেছেন নিজ লক্ষ্যে। জিম্বাবুয়ে সফরের ডাক সেসবেরই প্রাথমিক পুরস্কার।সময় এখন সামনে তাকানোর। ওই ঘটনা পেছনে ফেলে রসুল তাকাচ্ছেন সামনে, ‘ওই অধ্যায়টা শেষ হয়ে গেছে। ওসব নিয়ে আমি ভাবতে চাই না। শুধু সামনে তাকাতে চাই, প্রমাণ করতে চাই নিজেকে। আমার ভাবনায় সব সময়ই ক্রিকেট।’এর মধ্যেই অনেকগুলো প্রথমের জন্ম হয়েছে রসুলের হাত ধরে। সৌন্দর্যে স্বর্গ আর নৈরাজ্যে নরক জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছেন ভারত ‘এ’ দলে। প্রথম হিসেবে খেলেছেন কোনো আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে এবং আইপিএলে। রাজ্যের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এবার সুযোগ পেলেন জাতীয় দলে। টানা খেলতে থাকা রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে জিম্বাবুয়ের সফরে বিশ্রাম দিয়েছেন নির্বাচকেরা। বিকল্প হিসেবে প্রথমেই ভেবেছেন রসুলের কথা। গত রঞ্জিতে ১৮ গড়ে পেয়েছেন ৩৩ উইকেট। তবে সত্যিকারের নজর কেড়েছেন গত ফেব্রুয়ারিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৪৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে। ওই ম্যাচের পর তাঁর রাজ্য দলের কোচ ও স্পিন গ্রেট বিষেন সিং বেদি বলেছিলেন, ‘রসুল দুর্দান্ত এক অলরাউন্ড ক্রিকেটার।’ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৭ ম্যাচে ৪৬ উইকেট ও তিন সেঞ্চুরিতে হাজারের ওপর রান বেদির কথারই প্রমাণ!এমন পারফরম্যান্সের কারণেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় বিস্মিত হননি রসুল, ‘সত্যি বলতে, ডাক পাওয়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। অতি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না, তবে জানতাম জিম্বাবুয়ে সফরে নির্বাচকেরা সিনিয়রদের বিশ্রাম দিলে আমার সুযোগ আসতে পারে।’ বেদি তো মুগ্ধ রসুলের বোলিংয়ে, ‘সে টেকনিক্যালি নিখুঁত অফ ব্রেক বোলার। পরিষ্কার অ্যাকশন, কাঁধের ব্যবহার দারুণ, দ্রুত ডেলিভারিটাও ভয়ংকর। আমি ওকে বলতাম, ‘তোমার পেহলা (অফ ব্রেক) এত ভালো যে দুসরার প্রয়োজন নেই।’ জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার তরুণ এখন হাজারো কিশোর-তরুণের আদর্শ, রাজ্যের ‘পোস্টারবয়।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর টুইট, ‘ডাক পাওয়াটা প্রাপ্যই ছিল, এবার আমাদের গর্বিত কর।’ ইতিহাস আর বাস্তবতাকে মাড়িয়ে এসেছেন আজকের পর্যায়ে, রসুল ভালো করেই জানেন প্রত্যাশার ভারটা, ‘কেবল শুরু, পথের এখনো অনেক বাকি।’ ওয়েবসাইট।
এ মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলে ট্রেবল জিতেছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। এই আনন্দ উদ্যাপনে খেলোয়াড়দের নিয়ে কদিন আগে ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন কর্মকর্তারা। আগামীকাল  ‘বিজয় উৎসব’ নাম দিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে বড় অনুষ্ঠান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারে বিকেল চারটায় বিজয়ী শেখ রাসেল ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এতে প্রধান অতিথি থাকবেন। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে দুই সপ্তাহ ধরে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন তাঁরা।গণমাধ্যমে ছাত্র ও শিক্ষকদের সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রদান, ১ ও ২ আগস্ট সন্ত্রাসী হামলা এবং ১২ ফেব্রুয়ারি একজন ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংগঠিত ভাঙচুরের বিচার না হওয়া, শিক্ষক লাঞ্ছনার যথাযথ বিচার না হওয়া, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা অমান্য করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করা প্রভৃতি অভিযোগে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করে শিক্ষক সমিতি। দাবি বাস্তবায়নে গত ২০ জুন থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখছেন শিক্ষকেরা।
বিশ্ব উন্মুক্ত দাবার চতুর্থ রাউন্ড শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব। যুক্তরাষ্ট্রের আর্লিংটনে অনুষ্ঠানরত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অন্য দাবাড়ু তৈয়বুর রহমানের সংগ্রহ আড়াই পয়েন্ট। এদিকে কোরিয়ার ইনচনে এশিয়ান ইনডোর গেমসের দাবায় মিশ্র দলগত ব্লিটজে পঞ্চম হয়েছে বাংলাদেশ।
সংবর্ধনাফরিদপুরের নগরকান্দায় ২০১৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে তাহিমদা অ্যান্ড সৈয়দ ইউনুস ফাউন্ডেশন। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইউনুস। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু শহীদ মিয়া। আরও বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মুহম্মদ মুরছালিন শাওন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা। অনুষ্ঠানে উপজেলার সাতটি বিদ্যালয়ের ১২ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।  ফরিদপুর অফিসইলিশ নেইভরা মৌসুমেও বরগুনার আমতলীর পায়রা নদীতে ইলিশ মিলছে না। জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় অধিকাংশ জেলে তীরে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। জেলেদের জালে মাঝেমধ্যে দু-চারটি মাছ পাওয়া গেলেও তাতে খরচ উঠছে না বলে জানান বৈঠাকাটা গ্রামের জেলে নয়ন ও ইব্রাহিম মিয়া। তাঁরা বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকার তেলের খরচও মিলছে না। অন্যদিকে, জেলেদের দাদন দিয়ে এখন বেকায়দায় পড়ছে আড়তদারেরা। তাঁরা দেশের বিভিন্ন মোকামের মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না।  আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিবৃক্ষরোপণরাজবাড়ীতে গতকাল শনিবার সকালে রোটারি ক্লাব অব রাজবাড়ী চন্দনার উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’—এ স্লোগান সামনে রেখে শহরের আর এস কে ইনস্টিটিউশন মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ কাজী কেরামত আলী। এ সময় সংগঠনের সভাপতি খান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গণেশ নারায়ণ চৌধুরী, পারিজাত কুমার পাল, উজির আলী শেখ, আমজাদ হোসেন ও আহসান হাবিব। অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে গাছ বিতরণ করা হয়।  রাজবাড়ী প্রতিনিধিশিশুর মৃত্যুপিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামে পুকুরে ডুবে সানাউল্লাহ নামের এক শিশু মারা গেছে। শিশুটির বাবা মনির হোসেন জানান, সানাউল্লাহর বয়স ১৪ মাস। গতকাল শনিবার ভোরে সে রান্নাঘরে মায়ের কাছে বসে খেলা করছিল। এ সময় ছেলেকে রেখে মা বাইরে যান। একপর্যায়ে সবার অগোচরে শিশুটি রান্নাঘরের পাশের পুকুরে ডুবে যায়। সকাল পৌনে সাতটার দিকে পুকুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিউদ্ধারবঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সদানন্দপুর থেকে ডাকাতদের ব্যবহূত একটি দেশি রিভলবার, এক রাউন্ড গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, যশোর থেকে এনায়েতপুরগামী একটি গরুবোঝাই ট্রাক গতকাল ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের সদানন্দপুর এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের কবলে পড়ে। টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে ডাকাতেরা একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও একটি গুলির খোসা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।  নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জবিক্ষোভসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রায়গঞ্জ পৌরসভায় কসাইখানা নির্মাণের প্রতিবাদে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার ধানগড়া এলাকায় অবস্থিত রায়গঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ও অন্বেষা একাডেমীর শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। রায়গঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন আকন্দ বলেন, ধানগড়া সেতুর পশ্চিমপাড়ে কসাইখানা নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু পরিবেশের দোহাই দিয়ে শুরু থেকেই একটি মহল কসাইখানা নির্মাণে বাধা দিয়ে যাচ্ছে।  রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিউপনির্বাচনআগামীকাল সোমবার দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচণ্ডি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপনির্বাচনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আ. রশিদ সরকারের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর মোহামঞ্চদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রায়হান এবং আওয়ামী লীগ নেতা আ. মজিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিমানববন্ধনফরমালিনসহ সব ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত খাবারের দাবিতে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নওগাঁর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সিভিল সোসাইটি ফোরাম’-এর উদ্যোগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে জেলা প্রেসক্লাব দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে।  নওগাঁ সংবাদদাতাকাউন্সিলর নির্বাচিতসিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে পুনরায় ভোটে আবদুল মুহিত নির্বাচিত হয়েছেন। টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে তিনি দুই হাজার ৫০১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জামাল আহমদ পেয়েছেন দুই হাজার ৩৭৭ ভোট। গতকাল শনিবার এ ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম মুহিতের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১৫ জুনের নির্বাচনে এ দুই প্রার্থীর উভয়েই এক হাজার ৭৭৪ ভোট করে পেয়েছিলেন। দুজনের ভোট সমান হওয়ায় ওই ওয়ার্ডে গতকাল পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হয়।  নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেটঅবৈধ জাল ধ্বংসকিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুর্শা হাওরে অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার অবৈধ মশারির তিনটি বড় জাল ও এক শ অবৈধ কারেন্ট জাল (প্রতিটি ৫০০ হাত লম্বা) জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। জব্দ করা এসব জাল পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, থানার সহকারী উপপরিদর্শক জহুরুল হক।  নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিমৎস্য সপ্তাহজাতীয় মৎস্য সপ্তাহের পঞ্চম দিনে গতকাল শনিবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সফল মৎস্যচাষিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, পোনা মাছ অবমুক্তকরণ ও শোভাযাত্রা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী। ইউএনও সোনামণি চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজমিঞ্চল আলী, সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খায়রুল আমীন, মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিক। অনুষ্ঠানে সফল মৎস্যচাষি হিসেবে প্রধান অতিথির কাছ থেকে পুরস্কার নেন বেলাল আহমদ ইমরান, নবীন সোহেল, অধীর আচার্য।  বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিসংবর্ধনাফরিদপুরের নগরকান্দায় ২০১৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে তাহিমদা অ্যান্ড সৈয়দ ইউনুস ফাউন্ডেশন। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইউনুস। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু শহীদ মিয়া। আরও বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মুহম্মদ মুরছালিন শাওন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা। অনুষ্ঠানে উপজেলার সাতটি বিদ্যালয়ের ১২ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।  ফরিদপুর অফিস
আন্তজেলা মহিলা ব্যাডমিন্টনে এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পাবনার দুলালী ইসলাম। ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ফাইনালে কাল দুলালী ২১-১২, ২১-১৮ পয়েন্টে হারিয়েছেন ঢাকার অনামিকা ইসলামকে। এর আগে সেমিফাইনালে অনামিকা ২১-১২, ২১-৯ পয়েন্টে পাবনার রেশমা খাতুনকে এবং দুলালী ২১-০৮, ২১-১৬ পয়েন্টে ঢাকার লিজা হোসেনকে হারিয়েছে। মহিলা দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকার লিজা ও অনামিকা জুটি। ফাইনালে তারা ২১-১৬, ১৯-২১, ২১-১১ পয়েন্টে হারিয়েছেন চট্টগ্রামের মোস্তারী পারভীন-নাজমা ইসলাম জুটিকে।
সাকিব আল হাসান পারলেন না। কিন্তু তাঁর দল ঠিকই পারল। ব্যাট হাতে সাকিব ব্যর্থ হলেও লিস্টারশায়ারের জয় আটকায়নি। ইংলিশ কাউন্টির ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রথম দুই ম্যাচে হারা লিস্টারশায়ার পরশু ১১ রানে জিতেছে ডারহামের বিপক্ষে। ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব (১ রান) অবশ্য বল হাতে ছিলেন ভীষণ মিতব্যয়ী। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেটও। ক্রিকইনফো
ম্যাচ পাতানোর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন হারানো সময়টা পুষিয়ে দেওয়ার। গত দুই বছরে ব্যাটে-বলে সেই প্রতিজ্ঞার ছাপ ছিল ক্রিকেটের সব সংস্করণেই। হয়ে উঠেছেন দলের বড় ভরসা। এবার মিলল আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মারলন স্যামুয়েলস। একই সঙ্গে পেয়েছেন বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের স্বীকৃতিও। বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছেন শিবনারায়ণ চন্দরপল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার সুনীল নারাইন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ও প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েসনের যৌথ আয়োজনে এবারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে পোর্ট অব স্পেনে। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল গত ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি বিজয়ী দলকে সম্মাননা। দলের ১৫ ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের আট সদস্যকে দেওয়া হয়েছে সোনার আংটি। সম্মাননা পেয়ে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ছিলেন উচ্ছ্বসিত, ‘সত্যিকার অর্থেই এটি বিশেষ এক সম্মান, আমরা সবাই যা আজীবন মনে রাখব। যাঁরা এর পরিকল্পনা করেছেন এবং বাস্তবায়ন করেছেন, দলের পক্ষ থেকে তাঁদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ফাইনালে স্যামির দল হারিয়েছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে। স্যামুয়েলস ছিলেন ফাইনালের ম্যাচসেরা। সব মিলিয়ে গত বছর দলের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ (৪৮২), টেস্ট (৮৬৬) ও টি-টোয়েন্টিতে (৩২৫) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন স্যামুয়েলস। তিন সংস্করণ মিলিয়ে উইকেটও ছিল ২৫টি। চন্দরপল টেস্টে বর্ষসেরা হয়েছেন ৯ টেস্টে ৯৮.৭০ গড়ে ৯৮৭ রান করে। বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার হয়েছেন অলরাউন্ডার স্টেফানি টেলর। ৯ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরি করে বর্ষসেরা উদীয়মান হয়েছেন ওপেনার কাইরান পাওয়েল। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের বর্ষসেরা হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নিকিতা মিলার, তাঁর দল জ্যামাইকা হয়েছে বর্ষসেরা প্রথম শ্রেণীর দল। ওয়েবসাইট।
তিন ম্যাচেই শোচনীয়ভাবে হেরে গ্রুপ পর্বেই বিদায়। তবে কোচ ডেভ হোয়াটমোর এখন আশাবাদী, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ওই হতাশা পেছনে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাকিস্তান লড়বে জয়ের জন্য। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে এ সপ্তাহেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে পাকিস্তান। ১৪ জুলাই গায়ানার প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। তার আগে ১১ জুলাই একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে মিসবাহ-উল হকের দল। এই সিরিজ সামনে রেখে লাহোরে চলছে মিসবাহদের কঠোর অনুশীলন। ব্যাটিংই এখনকার বড় সমস্যা বলে অনুশীলনে ব্যাটসম্যানদের দিকে থাকছে বাড়তি নজর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই সমস্যাটাই ভুগিয়েছে বেশি। তিন ম্যাচে মিসবাহর দলের রান ছিল ১৭০ ও ১৬৭ ও ১৬৫। হোয়াটমোর জানেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভালো করতে হলে ব্যাটিংয়ে ভালো করতেই হবে। পরশু অনুশীলনের এক ফাঁকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাবেক এই কোচ বললেন, ‘ইংল্যান্ডের ফলটা ছিল সবার জন্যই খুবই বেদনাদায়ক। আমরা বুঝতে পেরেছি, আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারিনি। এখন আমরা সত্যিই ঘুরে দাঁড়াতে চাই। দৃষ্টি আমাদের সামনের দিকে। আমরা আরও ভালো করতে চাই।’ যদিও পরক্ষণেই বলেছেন, ‘আমি জয়ের প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না। তবে আমি অঙ্গীকার করতে পারি, আমরা জয়ের জন্য কঠিন লড়াই করব।’পাকিস্তান সর্বশেষ ক্যারিবিয়ান সফরে গিয়েছিল ২০১১ সালে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা ১-১ ড্র ছিল, পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা জিতেছিল ৩-২-এ। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরেছিল ৭ রানে। যদিও ওই সিরিজের দলে ছিলেন না ক্রিস গেইল ও কাইরন পোলার্ড। এই দুজনকে পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন আরও বেশি শক্তিশালী। উল্টো দিকে পাকিস্তানের ফর্ম হয়েছে খারাপ। হোয়াটমোরও স্বীকার করছেন, ওই সময়ের তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলের বড় একটা দুর্বল দিকও খুঁজে পেয়েছেন হোয়াটমোর—দ্রুত উইকেট হারানোর প্রবণতা আছে। শহীদ আফ্রিদিকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হোয়াটমোর। পাকিস্তান কোচের আশা, দলে ফেরা আফ্রিদি আলো ছড়াবেন ব্যাট-বল দুভাবেই। ওয়েবসাইট।
খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল ভারত। আর একবার পা ফসকালেই বিদায়ঘণ্টা বাজত ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে। চোট নিয়ে টুর্নামেন্টের মাঝপথে দেশে ফিরে আসা মহেন্দ্র সিং ধোনির কি সেটা সহ্য হতো? কদিন আগেই তিনি এই দল নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতেছেন! ভারতের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক আপাতত স্বস্তি পাচ্ছেন। বলা ভালো, তাঁকে হতাশায় ডুবতে দেননি বিরাট কোহলি। দল ঘুরে দাঁড়াল কোহলির যোগ্য নেতৃত্বেই। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিই পরশু রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ভারতকে জিতিয়েছে ১০২ রানে। বোনাস পয়েন্টসহ জয় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলার আশাও বাঁচিয়ে রাখল ভারতের।ধোনির অনুপস্থিতিতে আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে লজ্জাজনক হার। যাঁকে ধোনির উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছে, সেই কোহলি আসলেই ভারতকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছিল। ৮৩ বলে ১০২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে কোহলি জানিয়ে দিলেন তিনি প্রস্তুত। তবে অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি পাওয়ার চেয়ে এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোতেই তৃপ্তি পেয়েছেন বেশি, ‘সেঞ্চুরি নয়, আমি বেশি আনন্দিত দল বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জেতায়।’ কোহলির সেঞ্চুরির আগে ভারতের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান গড়েছিলেন ১২৩ রানের ওপেনিং জুটি। ৭৭ বলে ৬৯ রান করে ধাওয়ান ফিরে যাওয়ার পর মাঝের দিকে ভারতের উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতে। তবে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা কোহলি এক প্রান্ত ঠিকই আগলে রাখেন। অধিনায়কের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পাশাপাশি শেষ দিকে মুরালি বিজয় (১৮ বলে ২৭) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১৮ বলে ২৫) যোগ্য সঙ্গ দেওয়ায় ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে আসে ৩১১ রান।গেইল-ব্রাভোরা ছন্দে থাকলে এই বড় লক্ষ্যও বড় কিছু নয়। কিন্তু দিনটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছিল না। ২৫ রানের মধ্যে ক্রিস গেইল ও ড্যারেন ব্রাভো সাজঘরে! তার ওপর বৃষ্টির কারণে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯ ওভারে ২৭৪ রান। এতেই কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের জন্য। সেই চ্যালেঞ্জ দূরের কথা, মারলন স্যামুয়েলস, কাইরন পোলার্ড ও ডোয়াইন ব্রাভোরা উল্টো যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। কুইন্স পার্ক ওভালের উইকেটে তিন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার (৩/২৯), উমেশ যাদব (৩/৩২) ও ইশান্ত শর্মার (২/৩০) দাপটে অসহায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একটু ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু জনসন চার্লস। তবে তিনিও ৪৫ রানের বেশি করতে পারেননি।টানা দুই ম্যাচ জেতার পর এমন হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য একটা ধাক্কা। তবে এ হারে দলের আত্মবিশ্বাস একটুও কমেনি বলে দাবি অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামির, ‘আমরা আজ হেরেছি, কিন্তু এতে ভয়ের কিছু নেই। এখনো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছি। আমাদের বিশ্বাস, টুর্নামেন্টটা আমরা জিততে পারব। রোববার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে চাই আমরা।’সেই ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাবে না তাদের অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভোকে। গত এক বছরে দুবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মন্থর ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন অধিনায়ক। ক্রিকইনফো।সংক্ষিপ্ত স্কোরভারত: ৫০ ওভারে ৩১১/৭ (রোহিত ৪৬, ধাওয়ান ৬৯, কোহলি ১০২, রায়না ১০, কার্তিক ৬, বিজয় ২৭, জাদেজা ২, অশ্বিন ২৫*; রোচ ১/৬৯, বেস্ট ২/৫১, ডোয়াইন ব্রাভো ১/৫৭, স্যামুয়েলস ১/৩৯, পোলার্ড ১/২১)।ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৪ ওভারে ১৭১ (গেইল ১০, চার্লস ৪৫, ড্যারেন ব্রাভো ১, স্যামুয়েলস ৬, পোলার্ড ০, ডোয়াইন ব্রাভো ১৪, রামদিন ৯, স্যামি ১২, রোচ ৩৪, নারাইন ২১, বেস্ট ০*; ভুবনেশ্বর কুমার ৩/২৯, যাদব ৩/৩২, ইশান্ত শর্মা ২/৩০, জাদেজা ২/৪৪)।ফল: ভারত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১০২ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বিরাট কোহলি।
তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শক্তি’—ডেভিড ময়েস কি এখন দিনরাত এ কথাটাই ভাবছেন? বড় কঠিন দায়িত্ব যে তাঁর কাঁধে! ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কোচের উত্তরসূরি! ময়েস কি পারবেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের রেখে যাওয়া সাফল্যপতাকা আরও উঁচুতে তুলে ধরতে? কাজটা কতটা কঠিন সেটা জানেন বলেই বোধ হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ শুরুতেই ও রকম বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন না কোনো। বরং তিনি চান এমন কিছু করতে যাতে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সবাই আলাদা করে মনে রাখে তাঁকেও।ফার্গুসনের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে ওঠা কতটা কঠিন সেটা শুরুতেই জানিয়ে দিলেন ময়েস, ‘আগের কোচ কী করেছেন সেটা কারও অজানা নয়। অ্যালেক্স ফার্গুসন যা করেছেন সেটা অবিশ্বাস্য। তাঁর চেয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়।’ সাফল্যের পরিসংখ্যানে ফার্গুসনকে ছাড়িয়ে যাওয়া আসলেই কঠিন। তাহলে কি ময়েস হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন? সাবেক এভারটন কোচ শোনাচ্ছেন আশার বাণী, ‘আমার যেটা কাজ সেটা আমি অবশ্যই করব। আমি অবশ্যই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঐতিহ্য ধরে রাখব। তবে নিজের কাজের ছাপটাও রেখে যেতে চাই।’যাঁর কীর্তির কারণে কাজটা অনেক কঠিন হয়ে গেছে সেই অ্যালেক্স ফার্গুসনের কাছ থেকে পাওয়া সাহস তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলেও জানালেন ময়েস, ‘এ কাজের জন্য আরও অনেক কোচ ছিলেন। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাস হচ্ছে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন আমাকে উত্তরসূরি হিসেবে পছন্দ করেছেন।’ এএফপি।
প্রাইম ব্যাংক জেলা ফুটবল লিগে কাল পাবনায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১-০ গোলে হারিয়েছে চিকনাই ফুটবল একাদশকে। অন্য ম্যাচে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানিও ১-০ গোলে হারিয়েছে ধ্রুব রুদ্র স্পোর্টিং ক্লাবকে। ফেনীতে কসমস ক্লাব ১-০ গোলে লিভারপুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
পল্টন হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে কাল শুরু হয়েছে ওয়ালটন আমন্ত্রণমূলক জাতীয় পুরুষ হ্যান্ডবল। উদ্বোধনী দিনের খেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৬-২৪ গোলে চুয়াডাঙ্গাকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬২-১৫ গোলে ময়মনসিংহকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩০-২২ গোলে যশোরকে, চট্টগ্রাম মহানগর ৩৬-১৭ গোলে সুনামগঞ্জকে ও বাংলাদেশ পুলিশ ২৯-১৫ গোলে চুয়াডাঙ্গাকে হারিয়েছে।
ফুটবল মৌসুম শেষ, এখন ফুটবলপাড়া সরগরম দলবদল নিয়ে। এই মৌসুমেই যেমন নেইমার ও ফ্যালকাও ঠাঁই করে নিয়েছেন সর্বকালের সবচেয়ে দামি ১০ খেলোয়াড়ের তালিকায়। নেইমারকে পেতে বার্সার খরচ হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ ইউরো। ফ্যালকাওকে পেতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ৬ কোটি ইউরো দিয়েছে মোনাকো। এর চেয়ে বেশি অর্থ মাত্র চারজনের পেছনে খরচ হয়েছে। সবার ওপরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৯ কোটি ৪০ লাখ), দ্বিতীয় জিদান (৭ কোটি ৩০ লাখ), তৃতীয় ইব্রাহিমোভিচ (৬ কোটি ৯৫ লাখ ) ও চতুর্থ কাকা (৬ কোটি ৫০ লাখ)। শীর্ষ দশে আরও আছেন লুইস ফিগো (৬ কোটি ইউরো), ফার্নান্দো তোরেস (৫ কোটি ৮৫ হাজার), হাল্ক ও হার্নান ক্রেসপো (৫ কোটি ৫০ লাখ)।
বিশ্বখ্যাত অস্ট্রেলীয় স্পিন বোলার শেন ওয়ার্ন ২০ বছর আগে ‘শতাব্দীর সেরা বলটি’ করেন। সেই বলের অবিশ্বাস্য বাঁক দেখে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান মাইক গ্যাটিং। পরিণামে তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড আউট হন। লেগ স্পিন বলের ইতিহাসে এটিই সেরা বোলিং হিসেবে বিবেচিত। অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের বল অস্বাভাবিক মনে হলেও তা পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মের আওতাভুক্ত।ফিজিকা স্ক্রিপ্টা সাময়িকীতে লেগ স্পিনের ধরন নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। ইয়ান ও গ্যারি রবিনসন নামের সহোদর দুই গবেষকের বিশ্লেষণ থেকে ক্রিকেটাররা বিশেষ লাভবান হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, বলের ব্যতিক্রমী ঘূর্ণন ব্যাখ্যায় গাণিতিক সমীকরণের পাশাপাশি চিত্রলেখ (গ্রাফিকস) সংযুক্ত করা হয়েছে। আর কম্পিউটারে ব্যবহারোপযোগী একটি সহজ ভাষ্যও তৈরি করা হচ্ছে। গবেষকেরা বলছেন, স্পিন বলের আকস্মিক ও ব্যতিক্রমী বাঁকের পেছনে অভিকর্ষ, বাতাসের গতি, অবস্থা প্রভৃতি পারিপার্শ্বিক শক্তি সক্রিয় ভূমিকা রাখে। তাই একে অলৌকিক ভাবার সুযোগ নেই। স্পিন বোলাররা বিশেষ কায়দায় বলটি ধরে নিজেদের আঙুল ও কবজির সমন্বয়ে নিক্ষেপ করেন। নিক্ষেপের আগ মুহূর্তেও কিছু কৌশল ব্যবহার করা হয়। দক্ষ বোলাররা স্বাভাবিক বাঁকের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ব্যাটসম্যানকে হঠাৎ করে বিভ্রান্ত করতে সমর্থ হন। এ ক্ষেত্রে গতি নয়, বলের ঘূর্ণন ও আকস্মিক বাঁকের মাধ্যমে ব্যাটসম্যানকে চমকে দেওয়ার মধ্যেই বোলারের কৃতিত্ব। রবিনসন ভাইয়েরা বলেন, ধীরগতির স্পিন বলটি পিচে পড়ার পর বাতাসের মাধ্যমেও বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকে। ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার গতির একটি বল পিচ থেকে লাফিয়ে ওঠার পর বাতাসের প্রভাবে ১৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাঁক নিতে পারে।  এএফপি।শতাব্দীর সেরা বল: যেভাবে লেগ স্পিন বোলিং সম্পন্ন হয়১: ওয়ার্নের বলের গতি শুরুতে মিডল ও লেগস্টাম্প বরাবর।২: বলটি বাতাসেই হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে প্রায় ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত সরে যায়।৩: লেগস্টাম্পের বাইরে পড়ে বলটি গ্যাটিংকে অতিক্রম করে আবার আকস্মিক বিপরীত দিকে ঘুরে প্রায় ২৩ ইঞ্চি ঢুকে পড়ে অফস্টাম্পে আঘাত হানে।‘শতাব্দীর সেরা বলটির’ গোপন রহস্য কী? ইয়ান ও গ্যারির মতে, বাতাসের টান, বাতাসে বস্তুর ঘূর্ণনশক্তিজনিত ঘর্ষণ, বেগ ও কৌণিক বেগের সমন্বিত ফলাফল।
রমজান মাসে রোজাদারদের খাদ্যাভ্যাস ও সময়সূচিতে পরিবর্তন আসে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুস্থ থাকার জন্য ডায়াবেটিক রোগীদেরও প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতি। রমজান মাস শুরুর আগেই নিন সেই প্রস্তুতি।আগে থেকেই রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা জরুরি। ডায়াবেটিসের কারণে চোখ, মস্তিষ্ক, হূৎপিণ্ড, ধমনি, কিডনি, পা, স্নায়ু ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়; এগুলো আগেই পরীক্ষা করিয়ে নিজের ঝুঁকির বিষয়ে জেনে নিন। খাদ্যাভ্যাস, ঘুম, বিশ্রাম, ব্যায়ামের নিয়মগুলো জেনে নিন এবং ওষুধের মাত্রা বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। বাড়িতে নিজের রক্তের শর্করা মাপার জন্য একটি যন্ত্র কিনে নিন ও তার ব্যবহার শিখে নিন।আপনি রোজা রাখতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করে আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর। বিশ্বজুড়ে এই ঝুঁকি বিবেচনা করে ডায়াবেটিসের রোগীদের চার ভাগে ভাগ করা হয়। সাধারণত মধ্যম এবং কম ঝুঁকিযুক্ত ডায়াবেটিসের রোগীরা নিরাপদে রোজা রাখতে পারেন। অন্যদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখাই ভালো।১. অত্যন্ত মারাত্মক ঝুঁকি:n রমজান মাস শুরুর আগের তিন মাসের মধ্যে রক্তে শর্করাস্বল্পতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা শর্করা আধিক্য।n ঘন ঘন রক্তে শর্করাস্বল্পতা।n রক্তে শর্করাস্বল্পতাজনিত লক্ষণ টের না পাওয়া।n খুবই অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।n টাইপ ১ ডায়াবেটিসn গুরুতর অসুস্থতাn গর্ভাবস্থাn নিয়মিত ডায়ালাইসিস।২. গুরুতর ঝুঁকি:n গড় রক্ত শর্করা ৭.৫-৯%n কিডনি, হূদ্যন্ত্র, রক্তনালির জটিলতা।n ইনসুলিন বা সালফনাইলইউরিয়া গ্রহণ ।৩. মধ্যম ঝুঁকি:n সুনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগী যাঁরা ক্ষণস্থায়ী শর্করা নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করেন।৪. কম ঝুঁকি:  n সুনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগী যাঁদের কেবল খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম অথবা মেটফরমিন, ইনক্রেটিন, গ্লিটাজন শ্রেণীর ওষুধের মাধ্যমে রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রিত। l      মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।
দাঁতের অসমান অবস্থা বা আঁকাবাঁকা থাকাটা যে কেবল সৌন্দর্যহানি করে তা নয়, তা স্বাস্থ্যহানিও করতে পারে। দাঁতের এই অসমান অবস্থার জন্য প্রধান দুটি কারণ: দুধদাঁত স্বাভাবিক সময়ে না পড়া বা না ওঠা এবং চোয়ালের স্বাভাবিক গড়নে তারতম্য। একটি বা দুটি দাঁত অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সময়ে না পড়ে দেরিতে বা আগে পড়ে যায় বা উঠে যায়। ফলে স্থায়ী দাঁতটি নির্দিষ্ট স্থানে না উঠে ভিন্নপথে বেরিয়ে আসে। কখনো বা বাড়তি দাঁত বা সুপার নিউমোরারি দাঁত বেরিয়ে আসে। এই বাড়তি দাঁত স্থায়ী দাঁতের ওপরে বা নিচে অবস্থান করে। এ ছাড়া আক্কেলদাঁত সবশেষে গজায় (১৮ বছর বয়সে বা পরে) এবং অস্বাভাবিক অবস্থানে থেকে দাঁতগুলোর বিন্যাস নষ্ট করতে পারে। চোয়ালের গঠন স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হলেও দাঁতের অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে। এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দাঁতের গঠন অসমান হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে এক্স-রে করে দাঁতের বিন্যাসের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। অতিরিক্ত দাঁত তুলে ফেলা প্রয়োজন। যেসব স্থায়ী দাঁত অন্য আরও একটি বা দুটি দাঁতের ওপরে বা নিচে অবস্থান করে, সেগুলোকেও তুলে ফেলা প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, এগুলো চিবানোর কাজে সহায়তা করে না, বরং অসমান থাকায় তার ফাঁকে খাদ্যকণা জমা থাকে। আক্কেলদাঁত অসমান ও অস্বাভাবিক থাকলে এবং পার্শ্ববর্তী দাঁতকে ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কা থাকলে সেগুলোও তুলে ফেলা প্রয়োজন। তবে অসমান দাঁতকে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে আজকাল আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিও রয়েছে। l      দন্ত বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্যসমস্যা। অনেক সময় ঘরে বসেই কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বয়স লিখতে ভুলবেন না।স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়:নতুনের জানালাভালো থাকুনপ্রথম আলো, সিএ ভবন১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার ঢাকা-১২১৫ই-মেইল: bhalothakun @prothom-alo.info
ওড়ার সময় মৌমাছির পাখনার সঙ্গে বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র কণার সংঘর্ষে বিদ্যুতের সৃষ্টি হয়। এ বিদ্যুৎ মৌমাছির দেহে সঞ্চিত হয়। আর এই বিদ্যুতের কারণেই মৌমাছি মাকড়সার জালে সহজে আটকা পড়ে। নতুন এক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সায়েন্টিফিক রিপোর্টার্স সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ভিক্টর ম্যানুয়েল ওর্তেগা-জিমেনেজ বলেন, দেহে বিদ্যুৎ সঞ্চিত হওয়ার ফলে পতঙ্গ অতি দ্রুত মাকড়সার জালের সংস্পর্শে চলে আসে। এতে প্রাণীটির শিকারে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তবে এই সঞ্চিত বিদ্যুৎ মৌমাছিকে ফুল থেকে মধু আহরণেও সাহায্য করে। টেলিগ্রাফ।
সৌরশক্তিচালিত উড়োজাহাজের সাফল্যের পর এবার বিজ্ঞানীরা জ্বালানিবিহীন আকাশযান নিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কল্পকাহিনি নয়, বাস্তবেই এই জ্বালানিবিহীন উড়োজাহাজাজ উড়ে চলবে বছরের পর বছর। মার্কিন গবেষকেরা দাবি করেন, আকাশে বিভিন্ন উচ্চতায় বাতাসের ভিন্ন ভিন্ন গতিবেগ থেকে শক্তি সংগ্রহ করবে ভবিষ্যতের উড়োজাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের লিহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জোয়াচিম গ্রেনেসটেডেট ও তাঁর সহযোগীরা এই বিশেষ উড়োজাহাজ তৈরির প্রকল্পে কাজ করছেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই ২১ ফুট পাখা তৈরি করেছেন। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ হাজার ফুট উঁচুতে এই উড়োজাহাজ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ মাইল গতিতে চালানো হবে শিগগিরই। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এটি স্বল্প উচ্চতায়ও ওড়ানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। এই প্রকল্পের সাফল্যে পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ স্থাপনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। পপুলার সায়েন্স।
ভূতের ছানা! একটি অদৃশ্য চরিত্র। আর এই অদৃশ্য চরিত্রের সঙ্গে অভিনয় করলেন তারিক আনাম খান। নাটকের নাম ভূতের ছানা। লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন অনিমেষ আইচ।ভূতের ছানার সঙ্গে অভিনয়! ব্যাপারটি নাকি দারুণ উপভোগ করেছেন তারিক আনাম খান। নিজের দীর্ঘ অভিনয়জীবনে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ভূতের ছানার সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভূতের ছানা একেবারেই অদৃশ্য একটি চরিত্র। কিন্তু অভিনয় করার সময় মনে হয়েছিল চরিত্রটিকে যেন দেখতে পাচ্ছি। একটি দৃশ্যে ভূতের ছানা কিছুই খেতে চাইছে না। কী খেতে পারে সে? তাই খাবারের টেবিলে দেওয়া হয় নানা খাবার। আমি একটা জুতাও রেখে দিই। ইউনিটের একজন হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন, জুতা কেন? আমি বললাম, যদি জুতা খায়। সবার তখন সে কী হাসি!’পরিচালক জানান, রোজার ঈদে নাটকটি প্রচারিত হবে আরটিভিতে।
২০০৭ সালে বলিউডে অভিষিক্ত সোনম কাপুরকে ‘বিগ হিট’ ছবির জন্য অপেক্ষা করতে হলো ছয় বছর। ‘কোলাভেরি’ গানের তারকা ধানুশের সঙ্গে জুটি বেঁধে করা রানঝানা সেই সুপার-ডুপারের দেখা মিলিয়ে দিল অনিলকন্যাকে। ২০০৭ সালে বানশালীর মতো পরিচালক আর বড় বাজেটের ছবি সাওয়ারিয়া দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। একই সঙ্গে অভিষেক হয়েছিল রণবীর কাপুরেরও। সেই রণবীর এরই মধ্যে শক্তপোক্ত অবস্থানে চলে গেলেও পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না একটা মাত্র আধা হিট (আই হেট লাভ স্টোরিজ) ছবি উপহার দেওয়া সোনম। অথচ এরই মধ্যে বেশ জমিয়ে তুলেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, আনুশকা শর্মা, এমনকি প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করে দেওয়া সোনাক্ষী সিনহাও। ‘একটু অন্য ধরনের’ ছবি করতে গিয়েই সোনম খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন।বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এখন থেকে সোনম চরিত্রের ব্যাপারে বেশি খুঁতখুঁত না করে আরও বেশি দিলখোলা হবেন। বলিউড হাঙ্গামা।
প্রয়াত আজম খানের জন্মদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি। এই দিনটিকে ‘গুরু দিবস’ ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কয়েকজন শিল্পী। তাঁদের মতে, এই দিনে যে যাঁর গুরুকে শ্রদ্ধা জানাবেন। এবার এই গুরু দিবসকে নিয়ে গান লিখেছেন কবি কাজী রোজী। শিরোনাম ‘গুরু দিবসের গান’। সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন প্রমিথিউসের বিপ্লব। আর গানটিতে কণ্ঠ দিচ্ছে দেশের ১৫টি ব্যান্ড। তবে একসঙ্গে নয়, প্রতিটি ব্যান্ড আলাদাভাবে। ব্যান্ডগুলো হলো প্রমিথিউস, উচ্চারণ, সাবকনসাস, বিস্ময়, ব্যাসার্ধ, ট্র্যাপ, ডার্ক, শহরতলী, যড়ঋতু, ইফতি, বর্তমান, বেদুইন, প্রিজম, মৃত্যুঞ্জয় ও স্পার্ক। গানটির সঙ্গে আরও কয়েকটি ব্যান্ডের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।গুরু দিবসের গান অ্যালবামটি তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন বিপ্লব। গতকাল শনিবার তিনি বলেন, ‘অ্যালবামের কাজ চলছে। শেষ হতে আরও ১০-১২ দিন লাগবে। এই একটি গান কথা ও সুর ঠিক রেখে প্রতিটি ব্যান্ড আলাদাভাবে নিজস্ব গায়কিতে উপস্থাপন করছে। অডিও সিডি আকারে নয়, জিরো ডিগ্রি ডটকম থেকে অ্যালবামটি ঈদ উপলক্ষে অনলাইনে ছাড়া হবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তথ্য-উপাত্তসংক্রান্ত নীতিমালার প্রতি ওয়াশিংটন শ্রদ্ধাশীল না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা দুটি চুক্তি স্থগিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোটটি। চুক্তি দুটির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রকে ইউরোপের আর্থিক ও ভ্রমণসংক্রান্ত গোপন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা হয়ে থাকে। গত শুক্রবার ইইউর কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নয়-এগারোর সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইইউর সঙ্গে চুক্তি দুটি স্বাক্ষর করা হয়। তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদানবিষয়ক চুক্তি দুটিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করে থাকে ওয়াশিংটন।যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইইউ ও ইউরোপের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওপর ব্যাপক নজরদারির অভিযোগের বিষয়ে ইইউ যে চুপচাপ বসে থাকবে না—প্রভাবশালী আঞ্চলিক জোটটির হুঁশিয়ারিতে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। ইইউর অভ্যন্তরীণবিষয়ক কমিশনার সিসিলিয়া মামস্ট্রম গত বৃহস্পতিবার চুক্তি দুটির বাস্তবায়নের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জ্যানেট নাপোলিটানো এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও অর্থসংক্রান্ত গোয়েন্দা দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড কোহেনকে চিঠি লিখেছেন।মামস্ট্রম চিঠিতে বলেন, ‘চুক্তি দুটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমরা নাগরিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে দিতে পারি না। আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই আমরা চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করেছি। তবে চুক্তির গ্রহণযোগ্যতা এখন মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে এবং এর পুরোপুরি বাস্তবায়নের বিষয়টি আমরা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছি।’ যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর সম্পর্ক ‘কঠিন সময়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মামস্ট্রম চিঠিতে আরও বলেন, ‘পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা বিরাট ধাক্কা খেয়েছে এবং আমি আশা করি, পারস্পরিক বিশ্বাস পুনস্থাপনে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’ চুক্তি দুটি পর্যালোচনার জন্য পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অভ্যন্তরীণবিষয়ক কমিশনার মামস্ট্রম আগামী সপ্তাহেই ইইউর কর্মকর্তাদের একটি দলকে ওয়াশিংটনে পাঠাবেন। এদিকে ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থা সে দেশের নাগরিকদের ওপর ব্যাপক পরিসরে গোপন নজরদারি চালাচ্ছে মর্মে ওঠা অভিযোগ ফ্রান্সের কর্মকর্তারা উড়িয়ে দিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ-মার্ক এহোর মুখপাত্র লো মঁদ পত্রিকার কাছে ওই অভিযোগকে ‘অযথার্থ’ বলে অভিহিত করেছেন।ওবামা প্রশাসনের আহ্বান: ফোনে ব্যাপক আড়িপাতার বিষয়ে মতামত না দেওয়ার জন্য গত শুক্রবার ওবামা প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিলেন্স কোর্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ওই আদালতের প্রতি আড়িপাতার বিষয়ে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।ওই আদালতে দেওয়া নথিপত্রে মার্কিন বিচার বিভাগের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বলেছেন, জনগণ গোপন নজরদারির বিষয়ে আদালত থেকে মতামত চাওয়ার অধিকার পেলে তার সম্ভাব্য ক্ষতি হতে পারে ‘বাস্তব ও উল্লেখযোগ্য’। রয়টার্স ও বিবিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এমন একটা সময়ে তাঁর উত্তরাধিকার নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে।এ ঘটনাকে কেউ কেউ তুলনা করছেন টিভির সোপ অপেরার (ধারাবাহিক নাটক) সঙ্গে।বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন করে ২৭ বছর কারাভোগ করেছেন ম্যান্ডেলা। মুক্তি পেয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে নির্যাতনকারী সেই শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গেই ঐকমত্য গড়ে তোলেন। এসবের মধ্য দিয়ে জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। হয়ে ওঠেন দেশবাসী ছাড়াও বিশ্বের সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন।কিন্তু মৃত্যুর পর ম্যান্ডেলাকে কোথায় সমাহিত করা হবে, তা নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নেমে ম্যান্ডেলার পরিবারের সদস্যরা তাঁর সুনামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। এই দ্বন্দ্বের একদিকে রয়েছেন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং অন্যদিকে রয়েছেন তাঁর বড় মেয়ে ম্যাকাজিউ ও বর্তমান স্ত্রী গ্রাসা ম্যাশেল।এমভেজো গ্রামের প্রধান মান্ডলা ২০১১ সালে তাঁর বাবা, চাচা ও এক ফুফুর দেহাবশেষ কিছুটা দূরের কুনুগ্রামের সমাধিস্থল থেকে তুলে নিজ গ্রামে সমাহিত করেছিলেন। ম্যান্ডেলার বড় মেয়ে ও বর্তমান স্ত্রীসহ পরিবারের কয়েকজন আদালতে অভিযোগ করেন, মান্ডলা বেআইনিভাবে ওই কাজ করেছেন। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে গত বৃহস্পতিবার ম্যান্ডেলার ওই তিন সন্তানের দেহাবশেষ আবার কুনু গ্রামের পারিবারিক সমাধিতে সমাহিত করা হয়। এর আগে মান্ডলা এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা নেলসন ম্যান্ডেলার উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। পারিবারিক দ্বন্দ্বের এ ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ নাগরিকদের অনেকেই ব্যথিত হয়েছেন। অনেকে এই দ্বন্দ্বকে মার্কিন টিভির একসময়ের জনপ্রিয় সোপ অপেরা ‘ডালাস’-এর সঙ্গে তুলনা করছেন। ওই নাটকে টেক্সাসের একটি ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যরা উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হন। ডেইলি ম্যাভেরিক এক খবরে মান্ডলাকে ‘ডালাস’-এর অ্যান্টি হিরো জে আর ইউয়িং বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।পারিবারিক এ দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় দ্য টাইমস পত্রিকায় এক চিঠিতে মাইকেল মোকোয়েনা নামের একজন লিখেছেন, দেশবাসী তাঁদের প্রিয় নেতার জন্য শ্রদ্ধাভরে অপেক্ষা করছেন। আর তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিনা কলহে লিপ্ত। পারিবারিক দ্বন্দ্ব সবার সামনে তুলে ধরছেন।শান্তিতে নোবেলজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু গত বৃহস্পতিবার তিক্ত এ পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য ম্যান্ডেলার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। এএফপি।
সুরঞ্জনাকে ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছিলেন কবি। নীলাঞ্জনাকে ফিরে আসার মিনতি জানিয়েছেন গায়ক। তাঁরা ফিরেছিলেন কি না, জানা নেই, যেমন জানা নেই টম ক্রুজের আকুতিতে সাড়া দেবেন কি না কেটি হোমস। হোমসকে হূদয়মন্দিরে আবার ফিরে আসার আহ্বানই জানিয়েছেন ক্রুজ। হোমসকে ফিরতে বলেছেন তাঁর নিজের ঘরে। সাবেক স্ত্রীকে এ নিয়ে আবেগময় এক চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছে ক্রুজের কাছের এক সূত্র।লুক সাময়িকীকে সেই সূত্রটি বলেছে, ‘এ বিষয়টি নিয়ে টম গত কিছুদিনে অনেক ভেবেছেন। মনে হচ্ছে, অবশেষে তিনি বুঝতে পেরেছেন, কেটিই সব সময় তাঁর জীবনের ভালোবাসা হয়ে থাকবেন। তিনি যখন টমকে ছেড়ে গিয়েছিলেন, এটা ছিল একটা বড় আঘাত। তবে এও সত্যি, এ রকমটা যে হবে, সেটা বুঝতে পেরেও গ্রাহ্য করেননি টম। অবশেষে তিনি বুঝতে পেরেছেন, কেন সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছিল।’গত মার্চেও দুই পক্ষের তরফে সাদা পতাকা ওড়ানো হলেও সমঝোতা হয়নি। আইএএনএস।
তুলনামূলকভাবে নতুন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আনসার আল-শরিয়া মিসরে তাদের কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। সহিংসতা চালানোর মাধ্যমে মিসরে ইসলামি আইন চালু করারও হুমকি দিয়েছে তারা।মিসরের সিনাই অঞ্চলভিত্তিক জঙ্গিদের একটি অনলাইন ফোরামে গত শুক্রবার প্রকাশিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন এসআইটিই সংগঠনটির ওই বিবৃতি সংগ্রহ করেছে। বিবৃতিতে আনসার আল-শরিয়া বলেছে, তারা অস্ত্র সংগ্রহ করে সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেবে। প্রেসিডেন্ট মুরসিবিরোধী বিক্ষোভের জের ধরে মিসরের সেনাবাহিনী ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং সংবিধান স্থগিত ঘোষণা করে। সেনাবাহিনীর এ পদক্ষেপের কারণে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো স্বীকৃত গোষ্ঠীগুলোও জঙ্গি কার্যক্রমের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।এসআইটিই জানিয়েছে, বিবৃতিতে আনসার আল-শরিয়া বলেছে, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের পতন, টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া, ইসলামপন্থী বিক্ষোভকারীরা নিহত হওয়াসহ যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা ‘মিসরে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’র শামিল।এসব ঘটনার জন্য দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদে বিশ্বাসী, সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের সমর্থক, মিসরীয় কপটিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের দায়ী করে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা দেশকে ‘ধর্মযুদ্ধের’ দিকে নিয়ে যাবে।গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তারা দেশে শরিয়া আইনকে বিজয়ী করবে। ‘হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লড়তে, ধর্ম রক্ষা করতে এবং আল্লাহর আইন চালু করতে’ অস্ত্র সংগ্রহ করে মুসলমানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রয়টার্স।
প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেটের অনাগত সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই তাঁর বংশলতিকা নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত হয়েছেন এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা পাঁজিপুঁথি ঘেঁটে এমন সব তথ্য বের করছেন, যা রীতিমতো চমকপ্রদ।প্যারিসের এক সাধারণ অভিনেত্রী থেকে শুরু করে রুমানিয়ার ‘ড্রাকুলা’ প্রিন্স এবং স্পেনের সেভিলের এক সুলতানের রক্ত নাকি রয়েছে উইলিয়াম-কেটের সন্তানের শরীরে।ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী উইলিয়ামের বংশলতিকা ইউরোপের গথা বংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। যুক্তরাজ্যের সব রাজা ছাড়াও গ্রিস, ডেনমার্ক, সুইডেন, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, স্পেন ও বেশ কয়েকজন জার্মান রাজা-রানির সঙ্গে গথা বংশের যোগসূত্র রয়েছে। ১৯১৭ সালের আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজপরিবারকে তাই স্যাক্সে-কোবার্গ-গথা বলেই ডাকা হতো। সে বছর জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর উইন্ডসর নাম বেছে নেয় ব্রিটিশ রাজপরিবার।অন্যদিকে হবু মা কেট মিডলটনের পূর্বপুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। প্রয়াত রানিমাতা (রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা) ও প্রিন্সেস ডায়ানাও (উইলিয়ামের মা) জন্মসূত্রে রাজকুমারী ছিলেন না।কেট মিডলটনের বাবার দিকের পূর্বপুরুষেরা অপেক্ষাকৃত ধনাঢ্য ছিলেন। তবে তাঁর মায়ের পূর্বপুরুষদের বেশির ভাগই কর্মজীবী শ্রেণীর মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কয়লাখনির কর্মী, পাউরুটি প্রস্তুতকারী, এমনকি লন্ডনের রাস্তার ঝাড়ুদারও। আবার তাঁদের মধ্যে ছিলেন আর্থার লুপটন নামের একজন, যিনি কিনা অমর জার্মান কবি ও নাট্যকার গ্যেটেকে ইংরেজি শিখিয়েছিলেন। এই তালিকায় আছেন ১৮৮১ সালে লন্ডনের হলওয়ে কারাগারে বন্দী হওয়া এডওয়ার্ড টমাস গ্লাসবরো। আজ পর্যন্ত তাঁর কারাবন্দী হওয়ার কারণ রহস্যে ঘেরা। ব্রিটিশ রাজপরিবারের বংশলতিকায় আরও বিস্ময় আছে। ১৯১০ থেকে ১৯৩৬ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করা পঞ্চম জর্জের স্ত্রী রানি মেরি ছিলেন রুমানিয়ার ট্রান্সসিলভানিয়া ও ওয়ালাচিয়ার প্রিন্সদের বংশধর। এক ফরাসি নারীর সূত্রে কেটের সন্তান হবে প্রয়াত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁর জ্ঞাতিভাই। ওই নারী আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের বংশধর। এএফপি।
আগুন। সংগীতশিল্পী। টিভি নাটকে অভিনয় করছেন। আজ চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে তাঁর অভিনীত ধারাবাহিক নাটকপ্রবাসে পরবাসে।প্রবাসে পরবাসে...নাটকের গল্পটি ভালো। দেশের বাইরে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাও খারাপ নয়। লিখেছেন জিনাত হাকিম, পরিচালনা করেছেন সকাল আহমেদ।ভক্তদের দেওয়ার মতো খবর...ঈদ আসছে। গান, অভিনয়—সবকিছু নিয়েই খুব ব্যস্ত। এবার ঈদের নাটকে শখ, মেহজাবিন আর মৌসুমীর বিপরীতে অভিনয় করলাম। তিনটি নাটক করেই খুব শান্তি পেয়েছি। এত দিন ধরে অভিনয় করছি, হঠাৎ একসঙ্গে কিছু ভালো গল্প পেলাম। এখন রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম করছি। রেকর্ডিং চলছে।‘ঘেটুপুত্র কমলা’, হুমায়ূন আহমেদ এবং অন্যান্য...ঘেটুপুত্র কমলার কাজটা ভালো হওয়ার পেছনে অবশ্যই ক্রেডিট দিতে হবে শাওনকে। শাওন না থাকলে এত সুন্দর হতো না। আর হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে কী বলব? তাঁর সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। মানুষকে তিনি ভূতের ভয় দেখাতে পছন্দ করতেন। আমার সঙ্গে প্রথম দেখার দিনই ভয় দেখাতে চেষ্টা করেছিলেন।বাবা (খান আতাউর রহমান) আর মায়ের (নিলুফার ইয়াসমীন) গুণ নিয়ে আগুন...মা-বাবার গুণ পেয়েছি কি না, তা তো জানি না। তবে তাঁদের স্মৃতি ধরে রাখতে চেষ্টা করছি। মায়ের গাওয়া সেরা এক ডজন গান নিয়ে অ্যালবাম করেছি। নাম পথের শেষে। বাবার গান নিয়ে বোন রুমানা কাজ করছে।আগুন! আগুন!...একবার শাহজাদপুরে কনসার্ট করতে যাচ্ছি। সেখানে খবর ছড়িয়ে পড়েছে আগুন আসছে। মানুষ আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি হাজির! এটা আমার জীবনের একটি মজার অভিজ্ঞতা।গান, অভিনয়, উপস্থাপনা...গান সবচেয়ে সহজ লাগে। উপস্থাপনাও সহজ। অভিনয় অনেক কঠিন। কিন্তু ইদানীং অভিনয় করতেই বেশি ভালো লাগছে।জীবন নিয়ে অতৃপ্তি...আমার কোনো অতৃপ্তি নেই। যা ইচ্ছা করছি। ভালো আছি।আমার স্বপ্নগুলো...এখন একটাই স্বপ্ন, বাচ্চারা অনেক বড় হবে। যা ইচ্ছা করুক, আমার তাতে বাধা নেই। কিন্তু যেন মানুষের মতো মানুষ হয়।মো. সাইফুল্লাহ
বাংলাদেশ টেলিভিশনসন্ধ্যা৬-৩৫ লবীর রান্নাঘর।৭-০০ তেরো পাতার বুদ্ধি।৭-২৫ বাংলাদেশ ভ্রমণ।৮-৩৫ অনির্ধারিত।৯-০৫ সঙ্গী।৯-৩০ অনির্ধারিত।১০-২৫ ইত্যাদি। পুনঃপ্রচার।এটিএন বাংলারাত৮-০০ কবুলিয়তনামা।৮-৪০ গোল্ডেন রেসিপি।৯-২০ ডিবি।১০-৫৫ স্ক্যান্ডাল।১১-৩০ বৈরী বাতাস।চ্যানেল আইসন্ধ্যা৬-২০ মন ও চোরাগলি।৭-৫০ নূরজাহান।৯-৩৫ প্রবাসে পরবাসে।১১-৩০ প্রকৃতি ও জীবন।একুশে টিভিসন্ধ্যা৭-৫০ সিনে হিটস।৮-২০ ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট।৯-৩০ পঞ্চ প্রেমিক।১০-১০ মেঘের খেয়া।১১-৫০ জনতার কথা।এনটিভিসন্ধ্যা৬-৪৫ রুপালি পর্দার গান।৮-১৫ অঘটনঘটনপটীয়সী।৯-০০ সেকেন্ড হ্যান্ড।১১-৩০ মিউজিক জ্যাম।দেশ টিভিসন্ধ্যা৭-৪৫ ট্রিবিউট দ্য লিজেন্ড (নিলুফার ইয়াসমীন)।৯-৪৫ রেডিও চকলেট রিলোডেড।১০-৩০ সাতকাহন।১১-৪৫ সোজা কথা।আরটিভিসন্ধ্যা৭-৩০ থানার নাম শনির আখড়া।৮-১০ ফেসবুক।৯-০৫ অলসপুর।৯-৫০ ধ্রুপদি কাহিনি।১১-২০ আওয়ার ডেমেক্রেসি।বাংলাভিশনসন্ধ্যা৬-০৫ এবং ক্লাসের বাইরে।৬-৩০ পিকেএসএফ।৮-১৫ লেডিস ফার্স্ট।৯-০৫ রেড সিগন্যাল।১১-২৫ বিজনেস ভিশন।বৈশাখী টিভিরাত৮-০০ বড় বাড়ির ছোট বউ।৮-৩৫ স্পট লাইট।৯-২০ অগ্নিপথ।১১-০০ সংঘাত।১১-৩০ পাথরের কান্না।মাছরাঙা টেলিভিশনরাত৮-০০ বিল্টুমামা।৮-৪০ ক্ষণিকালয়।৯-২০ মা।১০-০০ টেলিকুইজ।চ্যানেল নাইনসন্ধ্যা৭-৪০ গ্রন্থিকগণ কহে।৮-২৫ নাগরিক।৯-১০ কবির লড়াই।১০-১৫ ইডিয়টস।১১-০০ নিশিগন্ধা।১১-৪৫ মনের রঙে রাঙাব।চ্যানেল টোয়েন্টিফোররাত৮-১৫ স্টুডিও টোয়েন্টিফোর।৯-১০ আসিন।১১-০০ মুক্তবাক।১১-৪৫ অনির্ধারিত।জি টিভি (গাজী টিভি)রাত৮-১০ পয়মন্ত।৮-৫৫ রূপমাধুর্য।৯-৩৫ জননী।১১-০০ বিজনেস টক।এশিয়ান টিভিসন্ধ্যা৭-৪০ কাচের ক্যানভাস।৮-২০ চেনা পথ অচেনা গলি।৯-০০ জীবনসংসার।৯-৪০ প্রতিপক্ষ।১০-২০ স্টার কমেডি।১১-০০ গানের ডায়েরি।এসএ টিভিরাত৮-০০ অন্তরে মম।৮-৩০ আগুনপোকা।৯-০০ ইনসাইড টিউন।৯-৩০ অনির্ধারিত।১১-০০ গ্লিটারজ।
মার্কিন নজরদারির খবর ফাঁস করে হইচই ফেলা এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (৩০) বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক আলোচিত গুপ্তচর আনা চ্যাপম্যান। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় আনা এই প্রস্তাব দেন।৩১ বছর বয়সী আনা টুইটারে লিখেছেন, ‘স্নোডেন, তুমি আমাকে বিয়ে করবে?’আনার এই প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা স্নোডেনের মেয়েবন্ধু নৃত্যশিল্পী লিন্ডসে মিলের। একটি সূত্র বলেছে, লিন্ডসে মনে করেন, স্নোডেনের সঙ্গে তাঁর খাঁটি ভালোবাসার সম্পর্ক। তাঁদের এই সম্পর্ক আজীবন থাকবে।স্নোডেনের ‘অপরাধের’ ব্যাপারে লিন্ডসেকেও (২৮) জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সংশ্লিষ্টতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।২০১০ সালে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ঝড় তোলেন রুশ সুন্দরী আনা চ্যাপম্যান। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও নয়জনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে সে দেশ থেকে বের করে দেয়। দেশে ফিরেই তারকাখ্যাতি পেয়ে যান চ্যাপম্যান। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির জ্যেষ্ঠ এক এজেন্টের কন্যা আনা এরপর নিজেকে নানা কাজে জড়িয়ে ফেলেন। মস্কোয় রাশিয়ার ফ্যাশন উইকে ক্যাটওয়াক, একটি সাময়িকী সম্পাদনা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়া ও সর্বশেষ একটি ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছেন আনা। যুক্তরাষ্ট্র গুপ্তচরবৃত্তি ও সরকারি তথ্য চুরির মামলা করেছে স্নোডেনের বিরুদ্ধে। মামলার আগেই স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে হংকং চলে যান। গত ২৩ জুন সেখান থেকে রাশিয়ার শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরে পৌঁছান। ওই বিমানবন্দরের ট্র্যানজিট এলাকাতেই অবস্থান করছেন স্নোডেন। মিরর।
নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে বিজেপি যে দিল্লি দখলের যুদ্ধে নামছে, গতকাল শনিবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল। মোদি যাঁকে উত্তর প্রদেশের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন, গুজরাটের সেই বিতর্কিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অযোধ্যায় গিয়ে ‘রাম জন্মভূমিতে’ রামমন্দির স্থাপনের অঙ্গীকার করে এলেন।অযোধ্যায় অমিত শাহ বলেন, রামের জন্মস্থানে ভব্য রামমন্দির তৈরি করাটা তাঁদের কর্তব্য। মোদিকে দলের প্রচার কমিটির প্রধান করার সময় লালকৃষ্ণ আদভানিসহ যাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন, তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত করলেন অমিত শাহ। এই মহলের অভিমত ছিল, মোদিকে ‘দলের মুখ’ করলে ফের হিন্দুত্ব মাথাচাড়া দেবে। দেশ বিভাজিত হয়ে যাবে ধর্মনিরপেক্ষ ও সাম্প্রদায়িক এই দুই শিবিরে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের আগে জোট ধরে রাখা ও ভোটের পর নতুন সঙ্গী পেতে বিজেপির অসুবিধা হবে, যেহেতু মোদির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। অমিত শাহের সফর ও বক্তব্যের পর পুরোনো মন্দির-মসজিদ বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস দাবি জানিয়েছে, তাঁকে অবিলম্বে উত্তর প্রদেশ থেকে বের করে দেওয়া হোক।বিজেপি ও সংঘ পরিবার নরেন্দ্র মোদিকে দলের মুখপাত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল দুটি কারণে। প্রথমত, কট্টরপন্থী এমন একটা ভাবমূর্তি তাঁর গড়ে উঠেছে, দ্বিতীয়ত, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি উন্নয়নের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ, সংঘ পরিবারের গড়ে তোলা হিন্দুত্বকে তিনি নতুন একটা মোড়কে পেশ করতে সফল। কাজেই, একদিকে হিন্দুত্ব, অন্যদিকে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে মোদি দলকে ভোট বৈতরণি পার করাতে পারবেন বলে বিজেপির বিশ্বাস। এই উদ্দেশ্যে মোদিও অযোধ্যা থেকে প্রচার অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু আদভানির আপত্তিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন। কিন্তু নিজে না গেলেও অমিত শাহকে অযোধ্যা পাঠিয়ে মন্দির বিতর্ককেই খুঁচিয়ে তুললেন। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গেল ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বনাম ‘সাম্প্রদায়িক’ শিবিরের বাগ্যুদ্ধ। বিজেপির বিরোধিতায় মুখর হয়েছে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, জনতা দলসহ (সংযুক্ত) বামপন্থীরাও।মোদি কিন্তু নিজের পরিকল্পনায় অটল। শনিবার থেকেই জাতীয় স্তরে প্রচার শুরুর ক্ষেত্রে অযোধ্যার পাশাপাশি বেছে নিলেন বিহারকে। গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরে বসে সন্ধ্যায় তিনি টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বিহারের অন্তত দেড় হাজার দলীয় নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
এনটিভিসকাল ৮-৪৫ মাটির ফুল (রিয়াজ, শাবনূর, রাজীব)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ আপনজন।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ চার সতিনের ঘর (ববিতা, দিতি, শাবনূর, ময়ূরী, আলমগীর)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ মিস ডায়ানা।মাছরাঙা টিভিসকাল ৯-০২ বিদ্রোহী বধূ (আলমগীর, শাবানা, বাপ্পারাজ, মৌসুমী)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ এক বুক ভালোবাসা।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৪৫ কে অপরাধী (ওমর সানী, মৌসুমী)।ডিডি বাংলাবিকেল ৪-৩০ হারজিত (রচনা, ফেরদৌস, অনুরাধা রায়)।স্টার জলসাবেলা ১-৩০ গোড়ায় গন্ডগোল (রাহুল, সম্পূর্ণা, খরাজ)। সন্ধ্যা ৬-০০ জোশ (অংশুমান, শ্রাবন্তী, জিৎ, তাপস পাল)।জলসা মুভিজসকাল ৮-৫৫ বাঘবন্দী খেলা (উত্তমকুমার, সুপ্রিয়া দেবী)। ১২-০০ রাজা বাবু (মিঠুন, যীশু, রিমঝিম)। ৩-২০ বন্ধন (জিৎ, কোয়েল মল্লিক, ভিক্টর ব্যানার্জি)। ৬-২৫ চ্যালেঞ্জ (দেব, শুভশ্রী)। ৯-৩০ দিওয়ানা (জিৎ, শ্রাবন্তী)।জি টিভিবেলা ১-০০ শোলে (অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, সঞ্জীব কুমার, হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন, আমজাদ খান)। বিকেল ৪-০০ থার্টি সিক্স চায়না টাউন (অক্ষয় খান্না, কারিনা কাপুর, শহীদ কাপুর)।সনিদুপুর ১২-৩০ ও বেলা ৩-০৮ মার্ডার ৩ (রণদীপ হুদা, অদিতি রাও, সারা লরেন)।জি সিনেমাসকাল ৮-০০ আজুবা (অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর, ডিম্পল কাপাডিয়া, সোনম)। ১১-০৬ দ্য রিয়েল টাইগার। ২-২৫ গাদার এক প্রেম কথা (সানি দেওল, আমিশা প্যাটেল)। ৬-০৫ ফির হেরা ফেরি (অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, বিপাশা বসু, রিমি সেন)। ৯-৩০ এবিসিডি (প্রভু দেবা, গণেশ, কে কে মেনন)।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-০২ কিষাণ কানহাইয়া (অনিল কাপুর, মাধুরী দীক্ষিত)। ১১-৪৫ ইশাকজাদে (অর্জুন কাপুর, পরিণীতি চোপড়া)। ২-৩২ সূর্যবংশম (অমিতাভ বচ্চন, সুন্দরিয়া)। ৬-২৭ এক থা টাইগার। ৯-২৪ পুলিশওয়ালা গুন্ডা (ধর্মেন্দ্র)।ফক্স মুভিজসকাল ৮-০০ ইউএফসি লাইভ। ১১-০৫ কুংফু হাসল। ১২-৪৫ পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ডস এন্ড (জনি ডেপ)। ৩-৩৫ আন্ডারওয়ার্ল্ড (রোনা মিত্র)। ৫-১০ পিরানহা থ্রিডিডি। ৬-৩০ ওয়ানস আপন এ টাইম। ৭-১৫ ট্রু জাস্টিস। ৮-০০ ক্যাট এইট। ৮-৩৫ ইউএফসি। ১১-২০ এক্স-মেন: ফার্স্ট ক্লাস।এইচবিওসকাল ৯-৩৫ দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া। ১২-২৮ ট্রান্সফরমারস: ডার্ক অব দ্য মুন (শিয়া ল্যাবাফ)। ৩-৩৭ চার্লি অ্যান্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরি (জনি ডেপ)। ৬-০০ ডিজাস্টার মুভি। ৭-৩৯ পুশ ইন বুটস। ৯-৩০ প্রিন্স অব পার্সিয়া। ১১-৫২ দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স।
পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশে গতকাল শনিবার এক ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। ট্রেনের সঙ্গে মোটরচালিত যাত্রীবোঝাই একটি রিকশার সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।যাত্রীবাহী ওই ট্রেন করাচি থেকে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোর যাচ্ছিল। পথে একটি সড়ক ক্রসিংয়ে ট্রেনটির সঙ্গে রিকশাটির সংঘর্ষ হয়। এতে রিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় রেলগেটে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না।স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা সালিম নিয়াজি বলেন, লাহোর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে শেইখুপুরা এলাকার খানপুরে এ দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত দুটি শিশু রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।স্থানীয় হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক মোহাম্মদ আসিম বলেন, ‘দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ১২ জন।’পুলিশ জানায়, রিকশাটি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিল এবং সড়ক ক্রসিং দিয়ে ট্রেনটি যাওয়ার মুহূর্তে সেটি রেললাইনের ওপর উঠে পড়ে। ক্রসিংটি দিয়ে যানবাহন চলাচল আটকানোর মতো দরজা বা এ কাজের জন্য কোনো লোক ছিল না। এএফপি।
abc তথ্য ও বিনোদন৩.১৫ স্পিড ব্রেকার৭.২০ গ্রামীণফোন লাউঞ্জ৮.১০ প্রাণ মি. নুডলস মিউজিকডিসকো১১.১৫ যাহা বলিব সত্য বলিব
ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সাবেক সর্বোচ্চ যাজক (পোপ) প্রয়াত দ্বিতীয় জন পল ও তাঁর পূর্বসূরি ত্রয়োবিংশ জনকে সন্তের (সেইন্ট) মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করে। ১৯৭৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ২৭ বছর পোপের দায়িত্ব পালনকারী পোল্যান্ডের নাগরিক দ্বিতীয় জন পল ক্যাথলিকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তবে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁর সমালোচনাও হয়েছে। ২০০৫ সালে শেষকৃত্য অনুষ্ঠান চলাকালে তাঁকে সন্তের মর্যাদা দেওয়ার দাবি ওঠে। ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী ২৩ জন পোপের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত। তাঁকে সন্ত ঘোষণা করায় ইতালিতে আনন্দ প্রকাশ করা হয়। এএফপি।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী নাট্যকেন্দ্রের নাটক দুই যে ছিলো এক চাকর। রূপান্তর করেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন তারিক আনাম খান। জাতীয় নাট্যশালায়, সন্ধ্যা সাতটায়। লোক নাট্যদলের নাটক সুনাগরিকের সন্ধানে। লিখেছেন মলয় ভৌমিক, নির্দেশনা দিয়েছেন খায়রুল আলম। স্টুডিও থিয়েটার হলে, সন্ধ্যা সাতটায়। জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী। জাতীয় চিত্রশালায়, চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র উৎসব। সকাল সাড়ে ১০টায় জয়যাত্রা, বেলা তিনটায় ঘানি, বিকেল পাঁচটায় ডুবসাঁতার ও সন্ধ্যা সাতটায় রানওয়ে।বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জ, গুলশান অ্যাভিনিউআন্ডার প্রেশার। ২৬ জন শিল্পীর ৫৫টি ছাপচিত্র নিয়ে প্রদর্শনী। চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত।গ্যালারি কায়া, উত্তরাগ্লিম্পসেস। কয়েকজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীর বাছাই করা চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী। চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত।ঢাকা আর্ট সেন্টার, ধানমন্ডিবীরেণ সোমের ছাপচিত্র প্রদর্শনী। চলবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডপোড়ামন ও টেলিভিশন। দুপুর সাড়ে ১২টা, বেলা সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স ম্যান অব স্টিল, সকাল ১০টা ৫০, বেলা ১১টা ৫০, একটা ৪০, বিকেল সোয়া চারটা, চারটা ৩৫ ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। জিআইজো: রিটেলিয়েশন থ্রিডি, বেলা ১১টা, দেড়টা, বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। আয়রনম্যান ৩ থ্রিডি, বেলা সাড়ে ১১টা, একটা ৪০, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। লাইফ অব পাই, বেলা দুইটা ও সন্ধ্যা সাতটায়।
চীনে বসবাসরত তিব্বতিরা গতকাল শনিবার নীরবে তাদের নির্বাসিত নেতা দালাই লামার ৭৮তম জন্মদিন পালন করেছে। চীন কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মীয় নেতাকে পছন্দ না করায় বরাবরই চীনের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত তিব্বতিরা নীরবে-নিভৃতে তাঁকে স্মরণ করে থাকে।গতকাল চীনের পশ্চিম কিংহাই প্রদেশের চাবাচা কাউন্টির রাস্তাগুলো ছিল একেবারে শান্ত। চীনা কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে তিব্বতিদের প্রতি নমনীয় রয়েছে। খোলামেলাভাবে ‘বিদ্রোহী’ নেতার জন্মদিন উদ্যাপন করলে পরিবেশ বিপন্ন হতে পারে—এমন আশঙ্কাতেই কোনো ঘটা করেনি তিব্বতিরা।কিংহাই প্রদেশের কুমবুম মঠের সন্ন্যাসী খেদ্রুব বলেন, ‘দালাই লামার জন্মদিন উদ্যাপনে বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। আমরা প্রতিদিনই তা করি।’ রয়টার্স।
ব্রিটিশ সরকার চরমপন্থী মুসলিম নেতা আবু কাতাদাকে জর্ডানে ফেরত পাঠাতে যাচ্ছে। দেশটির পত্রিকাগুলো গতকাল শনিবার জানিয়েছে, আজ রোববার দিনের শুরুতেই তাঁকে জর্ডানে পাঠানো হবে।জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আবু কাতাদার বিরুদ্ধে জর্ডানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। যুক্তরাজ্য আট বছর ধরে তাঁকে সে দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে। তাঁকে ফেরত পাঠানোর শেষ বাধা ছিল প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকা। গত মাসে জর্ডান ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়। বিমানে করে তাঁর জর্ডান যাত্রায় সঙ্গী হবেন দেশটির একটি মানবাধিকার সংগঠনের কয়েকজন পর্যবেক্ষক।একসময় ইউরোপে ওসামা বিন লাদেনের ডান হাত বলে পরিচিত আবু কাতাদা জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিম তীরের বেথলেহেমে। ১৯৯৩ সালে স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানসহ তিনি জর্ডান থেকে যুক্তরাজ্যে চলে আসেন এবং আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ১৯৯৪ সালে তাঁকে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগে ২০০১ সাল থেকে কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছে তাঁকে। সর্বশেষ তাঁকে গত মার্চে কারাগারে নেওয়া হয়। রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের শিকার হওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন।গত ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ সাক্ষাৎকারে গিলার্ড নারী হওয়ায় বৈষম্যের শিকার হওয়ার চিত্র তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারটি গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।জুলিয়া গিলার্ডের দায়িত্ব পালনের শেষ দিনগুলোয় তাঁকে ব্যাপকভাবে লিঙ্গবৈষম্যমূলক আক্রমণ করা হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সাফল্যকে ম্লান করে দিয়েছিল।সাক্ষাৎকারে গিলার্ড অভিযোগ করেছেন, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা টনি অ্যাবোট বারবার কথার বাণে জর্জরিত করেছেন তাঁকে।গিলার্ড বলেন, ‘এতটা যন্ত্রণা পোহানোর মতো প্রস্তুতি ছিল না আমার। তাঁরা আমাকে ভোট দিক কিংবা আমার সম্পর্কে যা খুশি ভাবুক না কেন, তাঁরা অন্তত বলবে, হ্যাঁ, আমি জানি, তিনি সত্যি কী বিষয়ে কথা বলছেন।’গিলার্ড বলেন, শুধু তিনিই নন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকেও লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। এএফপি।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে গতকাল শনিবার আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছয় হলেও এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দ্বীপটিতে কয়েক দিন আগেই শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সুমাত্রার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে। প্রথমে এটিকে রিখটার স্কেলে ছয় দশমিক চার মাত্রার বলে উল্লেখ করলেও পরে তা ছয় মাত্রার বলে নিশ্চিত করা হয়। এই ভূমিকম্পের আগে কোনো সুনামি সতর্কতা ঘোষণা করা হয়নি। সুমাত্রার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ অঞ্চলে গত মঙ্গলবার ছয় দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারায়। প্রায় ১৬ হাজার মানুষের বাড়িঘর ধ্বংস হয় বলে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর নিশ্চিত করে। আচেহ অঞ্চলে ২০০৪ সালে এক ভূমিকম্প ও সুনামিতে অন্তত এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এএফপি।
কবিগুরুর একগুচ্ছ বর্ষার গান আর তার সঙ্গে নৃত্য দিয়ে সাজানো হয়েছিল ‘বর্ষামঙ্গল’ অনুষ্ঠান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসংগীত চর্চার প্রতিষ্ঠান রবিরাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে।অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে ‘বিশ্ববীণারবে’ গানটি দিয়ে। এরপর ‘আবার এসেছে আষাঢ়’ গেয়ে শোনান গোলাম হায়দার। ‘কদম্বেরই কানন ঘেরি’ পরিবেশন করেন আমিনা আহমেদ। ‘খরবায়ু বয় বেগে’ গানের সঙ্গে ছিল নৃত্য।অনুষ্ঠান এগিয়েছে একক কণ্ঠের গান, নৃত্য ও সমবেত গানের পরিবেশনায়। সাদি মহম্মদ গেয়েছেন ‘আমি শ্রাবণ-আকাশে’, সামা আলী গেয়েছেন ‘এসো হে সজলঘন দেয়া’, সন্ধ্যা ভট্টাচার্য গেয়েছেন ‘আজ কিছুতে যায় না’। বৃষ্টি না হলেও অনুষ্ঠানজুড়েই ছিলও বর্ষার আবহ।স্থপতি মাজহারুল ইসলাম স্মরণসভাবাংলাদেশের স্থাপত্যচর্চার পথিকৃৎ বরেণ্য স্থপতি মাজহারুল ইসলামের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে মাজহারুল ইসলাম ফাউন্ডেশন, বাংলা একাডেমী ও বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে গতকাল সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমীর আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মাজহারুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের সভাপতি রফিক মাজহার ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, রাজনীতিক মোনায়েম সরকার; স্থপতি রবিউল হুসাইন, সামসুল ওয়ারেস, মোবাশ্বের হোসেন এবং লেখক নাজিয়া জাবীন।স্মরণসভার শুরুতে মাজহারুল ইসলামের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাঁকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন স্থপতি রফিউদ্দিন মাহমুদ।স্বাগত বক্তব্যে রফিক মাজহার ইসলাম বলেন, কীর্তিমান স্থপতি মাজহারুল ইসলামের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাঁর কৃতি মূল্যায়নের জন্য মাজহারুল ইসলাম ফাউন্ডেশন গঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।বক্তারা বলেন, মাজহারুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের স্থাপত্যকলার গর্ব ও অহংকার। স্থাপত্যচর্চায় তিনি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংশ্লেষ ঘটিয়ে নতুন রীতির জন্ম দিয়েছেন। এ মহান স্থপতির শিল্পাদর্শ দেশের ভবিষ্যতের স্থাপত্যবিদ্যাকে পথ দেখাবে। আলোচনার পর ছিল তাঁকে নিবেদিত সংগীতানুষ্ঠান।জাদুঘরের শতবর্ষ পূর্তির আয়োজনজাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ পূরণ হচ্ছে আগামী ৭ আগস্ট। শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে দুই বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছিল জাদুঘরের উদ্যোগে। কাল সোমবার থেকে শুরু হবে শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানমালা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানমালার কর্মসূচি ও জাদুঘরের বিগত দিনের কার্যক্রম তুলে ধরতে গতকাল শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জাদুঘরের সভাকক্ষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাদুঘর প্রযত্ন পর্ষদের সভাপতি এম আজিজুল হক, সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভী, সোনিয়া নিশাত আমীন ও স্থপতি রবিউল হুসাইন। কর্মসূচি তুলে ধরেন মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাস।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৭ আগস্টেই শতবর্ষ পূর্তির মূল অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থাকলেও সে সময় পবিত্র মাহে রমজান চলতে থাকায় কর্মসূচি এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছে। মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ১০০ টাকা মানের একটি স্মারক মুদ্রা ও স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত এবং মাসব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার হবে ৯ ও ১০ জুলাই। আগামী ৭ আগস্ট হবে সমাপনী অনুষ্ঠান।
আসন্ন লোকসভা (পার্লামেন্ট) নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি সাময়িকী দ্য উইক-এর এক জনমত সমীক্ষা বলছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ।সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৫৪৩ আসনবিশিষ্ট লোকসভায় এনডিএ পেতে পারে ১৮৪টি আসন। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা বা ইউপিএ পেতে পারে ১৬২টি। ২০০৯ সালের লোকসভা নিবাচনে ইউপিএ পেয়েছিল ২৬২টি আসন আর এনডিএ পেয়েছিল ১৫৯টি আসন।জরিপের ফল বলছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাল্লা ভারী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদির। ৩২ শতাংশ মানুষের পছন্দ নরেন্দ্র মোদিকে। মোদির পর মনমোহন সিং। তাঁকে চাইছেন ১৫ শতাংশ মানুষ। ১৩ শতাংশ চান রাহুল গান্ধী, ৮ শতাংশ সোনিয়া গান্ধী, ৫ শতাংশ লালকৃষ্ণ আদভানি, ৪ শতাংশ মুলায়ম সিং এবং ৩ শতাংশ চাইছেন মায়াবতী ও নিতীশ কুমারকে।কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন রাহুল গান্ধী (৩৯ শতাংশ), মনমোহন সিং (২৫ শতাংশ), সোনিয়া গান্ধী (১৮ শতাংশ), আর চিদাম্বরম ও এ কে অ্যান্টনিকে চাইছেন যথাক্রমে ৫ ও ৩ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর আদভানি (১৫ শতাংশ), সুষমা স্বরাজ (১০ শতাংশ), রাজনাথ সিং (৪) ও নীতিন গড়কড়ি (৩)।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের একটি দল ১০২টি তৈরি পোশাক কারখানার ভবন পরিদর্শন করে যে চিত্র পেয়েছে, তাতে ইতি ও নেতি দুই-ই আছে। গতকালের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় এ সম্পর্কে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্যাবলি বিবেচনা করলে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার বিষয়টি আরও মনোযোগ দাবি করে।বুয়েটের প্রকৌশলীরা যে ১০২টি কারখানা ভবন পরিদর্শন করেছেন, তার ৯৪টিতে ত্রুটি ধরা পড়েছে। এর মধ্যে দুটি ভবনের ত্রুটি ভয়াবহ। যেসব ভবনে সাধারণ ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেগুলো সংস্কার অসম্ভব নয়। বুয়েটের পরিদর্শক দল ১০২টি কারখানার মধ্যে চারটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। এর আগে তৈরি পোশাক কারখানার পরিস্থিতি আরও নাজুক ছিল। বুয়েটের প্রকৌশলীদের মতে, ইমারত নির্মাণ বিধিমালার শর্ত ভঙ্গ না করলে, অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় না ঘটালে তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।প্রকৌশলীরা যে ৪০টি ভবনে বিধিমালার শর্ত ভঙ্গ এবং ৪৮টি ভবনে নির্মাণগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন, তা সম্পূর্ণ চিত্র নয়। এর বাইরেও ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা থাকা অস্বাভাবিক নয়। দেশে তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। বুয়েটের প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করেছেন মাত্র ১০২টি; তাতেই ত্রুটিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত হয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে, পোশাকশিল্পের মালিকেরা কারখানা স্থাপনের সময় নিরাপত্তার বিষয়টি যাচাই করে দেখেন কি না? দেখলে ত্রুটিগুলো সহজেই দূর করা যায়। এ ছাড়া যেসব ভবনে তাঁরা কারখানা বসাচ্ছেন, সেসব ভবন নিরাপদ কি না, তাও খতিয়ে দেখা উচিত। সে ক্ষেত্রে কারখানার ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে। সাভারে রানা প্লাজা ধসে এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ-প্রকৌশলীদের মাধ্যমে পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শনের তাগিদ অনুভূত হয়েছে। ৩০০ কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই তাদের কারখানা পরিদর্শনের জন্য আবেদন জানায়। এটি একটি ভালো লক্ষণ। এর অর্থ কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আবার এমনও দেখা গেছে, অনেক কারখানার কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানা পরিদর্শনের জন্য আবেদন করেও পরে আর পরিদর্শনে সহযোগিতা করেনি। এ রকম কারখানা ১৪৮টি। অর্থাৎ আবেদনকারীদের প্রায় অর্ধেকই পরে মন পরিবর্তন করেছে। এটি ভালো দৃষ্টান্ত নয়। কারণ, রানা প্লাজা ধসের সঙ্গে সঙ্গে কারখানা ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের মনে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল, কিছু সময় পেরিয়ে গেলে সে উদ্বেগে ভাটা পড়েছে। ভবনের নিরাপত্তার গুরুত্ব উপলব্ধি করার জন্য কি তবে আরেকটি ট্র্যাজেডি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও অনুমোদিত নকশা অমান্য করে ভবন নির্মাণ ও পরিবর্ধনের প্রবণতা ব্যাপক-বিস্তৃত এক ব্যাধির মতো। এই ব্যাধি যে কত আত্মঘাতী হতে পারে, রানা প্লাজা তার এক মর্মান্তিক দৃষ্টান্ত। কিন্তু এর পরেও যে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের টনক নড়েছে, বুয়েটের পরিদর্শন কার্যক্রম থেকে তা বলা যায় না। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো, বিজিএমইএ ও প্রত্যেক পোশাকমালিকের ব্যক্তিগত দায়িত্বশীলতার সম্মিলন ঘটানোর বিকল্প নেই। আইন-বিধান মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগে শৈথিল্য দূর করতে হবে। একইভাবে পোশাকশিল্প খাতের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করারও উদ্যোগ নিতে হবে।
সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার মতো একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ বলা চলে মুক্তই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ব্যবহূত হতে দেখা গেছে। সরকার এ প্রবণতা রোধে সদ্য প্রণীত শিশু আইনে সন্ত্রাস দমন আইনকেও যুক্ত করেছে। এর লক্ষ্য হলো, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি সন্ত্রাসের কাজে শিশুদের ব্যবহার করে, তাহলে তার বিচার যাতে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে করা সম্ভব হয়। এটা এখন আরও উদ্বেগের বিষয় যে নতুন আইনে শিশুদের সন্ত্রাসী তৎপরতায় ব্যবহারে কঠোর শাস্তির বিধান করার পরও শিবিরের পক্ষে শিশুদের ব্যবহার কিংবা শিবিরের ডাকা হরতালকালে শিশুদের সড়ক অবরোধে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়ক থেকে তোলা এ-সংক্রান্ত একটি আলোকচিত্র প্রথম আলোয় ৪ জুলাই ছাপা হয়েছে। শিবির যদি এর দায়দায়িত্ব অস্বীকারও করে, তবু আমরা অন্তত উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারি যে আমাদের রুগ্ণ রাজনীতিতে যেন এ রকম একটি স্পর্শকাতর উপসর্গ যুক্ত না হয়। যার যেমনই দল ও মত থাকুক, তারা যেন অন্তত কোনো অজুহাতেই শিশুদের ব্যবহারের প্রবণতা না দেখায়। শিশুদের অপব্যবহার বা তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের মতো দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না।আইনানুগ প্রক্রিয়াতেই এই প্রবণতাকে অঙ্কুরে বিনাশ করতে হবে। তবে কেবল কঠোর আইন করলেই এর সুরাহা হবে না। রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এর বিরুদ্ধে সজাগ ও সোচ্চার হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে সবচেয়ে বেশি। হেফাজতের সমাবেশে যোগ দিতে এসে শত শত এতিম আটকা পড়ে এবং অবর্ণনীয় দুঃখ ও ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে। অথচ হেফাজতের নেতারা আজ পর্যন্ত এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেননি। অন্যদিকে দুই প্রধান দলের ডাকা উত্তপ্ত কর্মসূচিকালে টোকাইদের পিকেটিং বন্ধেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ করা যায় না।আমরা বিশ্বাস করি, এখন পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে যা ঘটেছে, তা পরিকল্পিত কিছু করা থেকে অনেক দূরে। এটা যেন কোনোক্রমেই আমাদের গ্রাস না করে।
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। এক দিনের গণতন্ত্রের মালিক ভোটাররা পাঁচ বছরের জন্য যাঁকে নির্বাচিত করেছেন, তিনি আগামী পাঁচ বছর নগর শাসন করবেন। আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় জনদরদি নেতাও নির্বাচিত হওয়ার পর দলদরদি হয়ে পড়েন। এলাকার উন্নয়নকাজ করেন, তাও নিজের ও দলের স্বার্থে। জনস্বার্থ বরাবরই উপেক্ষিত।চার সিটি করপোরেশনে ক্ষমতাসীন দলটির ভরাডুবির পর দেশবাসীর চোখ ছিল গাজীপুরের দিকে। এখানেও সেই ভরাডুবি ঠেকানো গেল না। তিন সপ্তাহ ধরে সেখানে বহু নাটক হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমের নাটক। এরশাদের নাটক। হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে দুই পক্ষের টানাটানি। দুই দলের নেতাদের তীব্র বাদানুবাদ। বিএনপির নেতাদের নির্বাচন কমিশনে দৌড়ঝাঁপ। নালিশ। চার সিটির মতো গাজীপুরেও তারা অভিন্ন কৌশল নিয়েছিল। চাপে রাখো এবং এগিয়ে যাও। আর আওয়ামী লীগ সেই একই গান গেয়ে চলেছে। নাটকের শেষ অঙ্কে বিএনপির সমর্থক প্রার্থী জিতেছেন। হেরেছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থক প্রার্থী। তবে এখানে প্রার্থীর চেয়ে বড় পরাজয় ঘটেছে ক্ষমতাসীন দলটির। তাদের নেতৃত্বের। তাদের অহংকারের ও একগুঁয়েমির। গাজীপুরে নির্বাচন কেবল গাজীপুরেই সীমিত ছিল না। দুটো কাকতালীয় ঘটনা। চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে বিশ্বব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন আর গাজীপুরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা বাতিল নির্বাচনে হারার জন্য এই দুই ঘটনাই যথেষ্ট। দিনভর ভোটের চিত্র দেখে মনে হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ কথা রেখেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের মুহূর্তে তাঁকে যতটা নরম মনে হয়েছিল, আসলে তিনি ততটা নরম নন। চৌকস আমলা। মুক্তিযোদ্ধা। সাবেক বিচারপতিদের চেয়ে সাবেক আমলারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অধিক দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। রাখছেন। কাজী রকিব উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ক্রমশ সাহসী হয়ে উঠছে। এটি ভরসার দিক। জাতীয় নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো যা-ই হোক, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশনই।ভোট গ্রহণের আগে সিইসি বলেছিলেন, গাজীপুরকে মাগুরা হতে দেওয়া হবে না। মাগুরায় কী ঘটেছিল? খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত মাগুরা উপনির্বাচনে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছিল। নব্বই-পরবর্তী গণতান্ত্রিক আমলে প্রথম তিক্ত অভিজ্ঞতা।আমরা মনে করতে পারি, সামরিক স্বৈরশাসকদের শাসনামলে নির্বাচন মানেই ছিল ব্যালট বাক্স দখল, ভোটারবিহীন কেন্দ্র। শতকরা ১০ জন ভোটার কেন্দ্রে না গেলেও প্রচার করা হতো, ৭০ ভাগ ভোট পড়েছে এবং অবশ্যই ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই ধারার অবসান ঘটেছিল।কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের ফারাকটি এতই সূক্ষ্ম যে খালি চোখে দেখা যায় না। এখনো যায় না। সামরিক স্বৈরশাসকেরা কখনোই গণতান্ত্রিক হতে পারেননি। কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসকেরা সামরিক শাসকদেরই বরাবরই অনুসরণ করে চলেছেন। আর সামরিক শাসকেরা আগে বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল করতেন, পরে সেই ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে নির্বাচনের নাটক সাজাতেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এমনকি নির্বাচন কমিশনও ছিল সরকারের হুকুমবরদার। তবে সেই সময়ে ভোটারবিহীন নির্বাচনের সঙ্গে নিজেকে বিযুক্ত রাখতে অনেক সরকারি কর্মকর্তাকে রোগী সেজে হাসপাতালে ভর্তি হতেও দেখা গেছে। স্বৈরশাসকের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার এটাই ছিল একমাত্র উপায়।তথাকথিত নির্বাচনে সামরিক স্বৈরশাসকেরা আরেকটি অপকৌশলের আশ্রয় নিতেন, তা হলো মধ্যরাতে মিডিয়া ক্যু। জনগণ ভোট দিলেন এক প্রার্থীকে, রাতে মিডিয়ায় জয়ী ঘোষণা করা হলো আরেকজনকে। ১৯৮৬ সালের বহুল আলোচিত নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। মূল লড়াইটা হয়েছিল ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টি ও বিরোধী আওয়ামী লীগের মধ্যে। ফল প্রকাশের শুরুতে দেখা গেল, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থী এগিয়ে আছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা রয়েছেন পিছিয়ে। সে সময়ের একমাত্র টিভি চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনে সেই খবর ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছিল। কিন্তু যখন দেখা গেল, ক্ষমতাসীন দলের জাঁদরেল সব প্রার্থী ভোটের দৌড়ে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন, তখনই ফল প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হলো। দুই দিন পর সরকারি বেতার ও টেলিভিশনে নির্বাচনী ফল পুনরায় প্রকাশ করা হয় এবং তাতে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।এখন সেই যেমন খুশি তেমন সাজোর নির্বাচন কিংবা ব্যালট বাক্স দখলের দিন শেষ হয়েছে। সব প্রতিযোগীই মেনে নিয়েছেন যে জিততে হলে ভোট পেতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে। দলের বাঘা বাঘা নেতার রণহুংকার এখন আর ভোটারদের মন গলাতে পারে না। চার সিটি+গাজীপুরে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের মূল কারণ অতি-আত্মবিশ্বাস। দলীয় অহমিকা। বিরোধী দলের শক্তিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা। হাতি নিজের শরীর নাকি দেখতে পায় না। আর আওয়ামী লীগ সব সময় নিজের শক্তি ও চেহারায় মুগ্ধ থাকে। অভিভূত হয়।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, আপসকামিতার জন্যই দেশে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কেবল আপসকামিতা নয়, নীতিহীনতা, আদর্শহীনতা ও রাজনীতির কারণেই একাত্তরের পরাজিত মৌলবাদ এবং নব্বইয়ে পরিত্যক্ত স্বৈরাচার নিয়ত গণতন্ত্রের সবক দিতে পারছে। জয়-পরাজয়ের নিয়ামক শক্তি হয়ে উঠেছে। এক দল স্বৈরাচারের সঙ্গে, আরেক দল রাজাকারের সঙ্গে গভীর সখ্য গড়ে তুলেছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে মাগুরা হবে না বলেছেন, তার একটি পটভূমি আছে। মানুষ ভেবেছিল, বহু প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া গণতান্ত্রিক শাসনে কারচুপির নির্বাচন আর হবে না। তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। কিন্তু হলো। মাগুরা উপনির্বাচনে বড় ধরনের কারচুপি ও ভোট চুরির ঘটনা ঘটল। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি আবদুর রউফ। তিনি বলেছিলেন, যারা নির্বাচনের সময় মাস্তানি করবে, কমিশন তাদের শায়েস্তা করতে প্রয়োজনে তিন গুণ মাস্তানি করবে। কিন্তু তিনি ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের সঙ্গে না পেরে সার্কিট হাউস থেকে পালিয়ে চলে এসেছিলেন। মাগুরার সেই উপনির্বাচনই মূলত বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনকে যৌক্তিকতা দেয়। বিএনপি গণদাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। আওয়ামী লীগ এখন তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা নিয়ে যত গোঁয়ার্তুমি করবে, ততই জনপ্রিয়তা কমবে। বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। সংবিধান মানুষ তৈরি করে। মানুষই তা বদলায়। সংবিধান মানুষকে বদলাতে পারে না। আওয়ামী লীগের নেতাদের মনে রাখা উচিত, স্বৈরতন্ত্রে গোঁয়ার্তুমির জায়গা থাকলেও গণতন্ত্রে নেই। গত দুই দশকে আমাদের রাজনৈতিক সংকটের মূলে আছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অসহিষ্ণুতা ও বৈরিতা। তারা কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। এক পক্ষ কথার বোমা বর্ষণ করে, আরেক পক্ষ সত্যিকার বোমা ছুড়ে অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে চেয়েছে। বিরোধী দলে থাকতে তারা জনগণকে নানা খোয়াব দেখায়, আর ক্ষমতায় গেলে জনগণের কথা ভুলে গিয়ে নিজের খোয়াবে বুঁদ হয়ে থাকে।তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন একগুঁয়েমি করছে। তারা বলছে, এই ব্যবস্থা এখন সংবিধানবহির্ভূত। অতএব মানা যাবে না। তাদের মনে থাকার কথা, বিএনপি কিন্তু তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা জারি থাকতেও ২০০৭ সালে নির্বাচন করতে পারেনি। বিএনপি সেদিন জনমতের তোয়াক্কা করেনি বলেই দুই বছরের সেনাসমর্থিত সরকার জাতির ওপর চেপে বসেছিল। বিএনপির নেতারা এখন যা-ই বলুন না কেন, এক-এগারোর দায়টা তাঁদেরই। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা, নির্বাচন কমিশন, ভোটার তালিকা ইত্যাদি নিয়ে ভয়ংকর কেলেঙ্কারি না ঘটালে দেশের রাজনীতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতো। আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। কীভাবে, কাকে নিয়ে? নির্বাচন তো একতরফা কিংবা কেবল গৃহপালিত বিরোধী দল হওয়ার খায়েশ আছে এমন লোককে নিয়ে হবে না। সব প্রতিযোগীকে আস্থায় নিতে হবে। মাগুরার পর বিএনপি আস্থার জায়গাটি নষ্ট করেছিল। পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আওয়াজ কেউ শুনতে চাইবে না। তাহলে সমাধান কী? সমাধান হলো আলোচনা, সংলাপ ও সমঝোতা। আশা করি, আওয়ামী লীগের নেতারা দেয়ালের ভাষা পড়ে দেখবেন।চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ছিল বর্তমান কমিশনের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়ার পর গাজীপুরেও সুষ্ঠু নির্বাচন করে তারা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। মাঝেমধ্যে দুই দলের নেতা-নেত্রীদের কথা শুনলে মনে হয়, দেশটা তাঁদের তালুক। আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। তবে মাত্রাতিরিক্ত হলে বদহজম হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের বর্তমান দুর্গতি থেকে বিএনপি শিক্ষা নেবে না। কেননা, তারা এখনই শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ভালো কথাও এখন জনগণ শুনতে চাইবে না। জনগণ সাড়ে চার বছর সময় দিয়েছে। আর দিতে রাজি নয়। মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগে এখন ভাটার টান লেগেছে। যেখানে হাত দেয়, সর্বনাশ হয়। নির্বাচনে এক পক্ষ জিতবে, আরেক পক্ষ হারবে, এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনের আগে তাদের মধ্যে যতই ঝগড়া হোক না কেন, নির্বাচনের পর কোনো বিবাদ থাকতে পারে না। গণতন্ত্র রক্ষায় বিজয়ী প্রার্থীসহ সবাই একযোগে কাজ করবেন। এটাই মানুষ প্রত্যাশা করে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্ব চলেন ভিন্ন পথে। আগের লেখায় গাজীপুরের ভোটের হিসাব দেওয়ায় কোনো কোনো পাঠক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, কোনো হিসাবেই এবার কাজ হবে না। হয়ওনি। আসলে ভোটের স্থান গাজীপুর হলেও ভোটটি হয়েছে ‘জাতীয় ভিত্তিতে’। প্রথম আলোর শিরোনাম ছিল গাজীপুরে আজ ‘জাতীয়’ নির্বাচন। এই নির্বাচন আগামী সংসদ নির্বাচনের বাছাইপর্ব। জাতীয় নির্বাচনে কী ফল হবে, তার একটা পূর্বাভাস পাওয়া গেল চার+গাজীপুরে নির্বাচনে। প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এই ফলাফলকে কীভাবে গ্রহণ করেন? তাঁরা দাবি করতে পারেন, এটি স্থানীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। কিন্তু ভোটের রাজনীতিতে কিছুই বিচ্ছিন্ন নয়। ২০০৮ সালের আগস্টের সিটি নির্বাচন যদি ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস হয়ে থাকে, তাহলে চার+গাজীপুরে ফল আগামী জাতীয় নির্বাচনেরই স্পষ্ট ইঙ্গিত। এখন কথা হলো, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পরাজয়ের গ্লানি লাঘবের চেষ্টা করবে, নাকি নিজেদের গোঁয়ার্তুমি ও অহমিকা দিয়ে ব্যবধানটি বাড়িয়েই চলবে?সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।sohrab03@dhaka.net
পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম ঘটল: ক্যু হয়েছে কিন্তু তাকে স্বনামে ডাকা হচ্ছে না। ক্ষমতা নিয়েছে সেনাবাহিনী, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করে বন্দী রাখা হয়েছে, সংবিধান স্থগিত, সরকারপন্থীরা গণহারে গ্রেপ্তার হচ্ছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টেলিভিশন চ্যানেল এবং রাজধানীর রাজপথ দখলে নিয়ে চলছে সাঁজোয়া যান। কিন্তু ‘ক্যু’ নামক শব্দটা মহান ওবামার ঠোঁট থেকে বেরোচ্ছে না, বেরোতে পারবেও না। জাতিসংঘের মহাসচিব বেচারা বান কি মুনেরও সাধ্য নেই এ রকম মারাত্মক একটি শব্দ উচ্চারণ করেন। ব্যাপার এই নয় যে, কী ঘটছে, তা ওবামা জানেন না। গুপ্ত বন্দুকধারীরা ছাদের ওপর থেকে গুলি করে এ সপ্তাহেই ১৫ মিসরীয়কে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, যেখানে ওবামা ২০০৯ সালে মুসলিম দুনিয়ার উদ্দেশে ‘হাত-বাড়ানো’ বক্তৃতা করেছিলেন।লাখো মিসরীয় এ রকম একটা ক্যু দাবি করেছিল বলেই কি ওবামা মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন? অবশ্য মুরসিবিরোধীরাও একে ক্যু বলছে না। এবং এভাবেই ঘটল সেই ঐতিহাসিক ঘটনা, যেখানে আসল ক্যু ঘটার ঠিক আগে আগেই তার জন্য গণদাবি উঠল। ক্যু হয়েছে স্বীকার করে নিলে মিসরের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের বাধ্যবাধকতা চলে আসার ভয়েই কি ওবামা ভীত? যখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরব রাষ্ট্রটি ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি কায়েম করে আছে, তখন কীভাবে তিনি এত নিষ্ঠুর হবেন? নাকি তাহলে ক্যুর নায়কেরা চিরকালের মতো ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা হারাবে বলে তিনি চুপ করে আছেন? এই ভয় যদি থাকত, তাহলে বাস্তবে মিসরের সেনাবাহিনী কোনো ক্যু ঘটানোর সাহস করত না। ওবামা তাই চুপ করে দেখে যাওয়ার নীতি নিয়েছেন। ওবামার খাতিরে একটা ঐতিহাসিক স্মৃতির দিকে বরং দৃষ্টি ফেরানো যাক। ২০০৯ সালে কায়রোয় সেই চতুর বক্তৃতায় ওবামা কী দারুণভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রসঙ্গে ‘উচ্ছেদ’ কথাটা ব্যবহার না করে বলেছিলেন ‘স্থানান্তর’। সেই বক্তৃতায় তিনি মনে রাখার মতো কিছু কথা বলেছিলেন। সেসব কথার আলোকে দেখলে মিসরের ঘটনাবলির ভিন্ন এক দৃষ্টিকোণ পাওয়া যাবে। ওবামা বলেছিলেন, কতিপয় নেতা আছেন, ‘যাঁরা কেবল ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়ই গণতন্ত্রের কথা বলেন; আর একবার ক্ষমতাসীন হতে পারলেই তাঁরা নির্দয়ভাবে অন্যের অধিকার দমন করেন...আপনাদের অবশ্যই সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। এবং সহনশীলতা ও সমঝোতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। অবশ্যই জনগণের স্বার্থ এবং বৈধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আপনাদের দলের ওপরে স্থান দিতে হবে। এই গুণাবলি ছাড়া শুধু নির্বাচন দিয়ে সত্যিকার গণতন্ত্র আসবে না।’তবে ওবামা এ কথা সেই ক্যু-কিন্তু-ক্যু-নার পরে বলেননি। এসব কথা তিনি বলেছিলেন ঠিক চার বছর আগে, মোবারকের আমলে তাঁরই উপস্থিতিতে। এবং এ কথাগুলো থেকেই সুন্দরভাবে বুঝতে পারা যায়, মোহাম্মদ মুরসি কোথায় ভুল করেছেন। তিনি তাঁর মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাদের জনগণের সেবক হিসেবে নয়, প্রভু হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। মিসরের খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের রক্ষায় তৎপর হননি তিনি। এরপর ব্রাদারহুডের এক সভায় মিসরীয়দের সিরিয়ায় পবিত্র যুদ্ধে শিয়াদের হত্যা করা এবং বাশার আল-আসাদের সরকারকে উচ্ছেদের আহ্বান জানিয়ে মিসরীয় সেনাবাহিনীকে খেপিয়ে তুলেছেন। গত কয়েক দিনে মিসরের ঘটনাবলির মধ্যে এক বাস্তব সত্য লক্ষ করা যায়। সিরিয়ার আসাদের থেকে কেউ যেন বেশি খুশি নয়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর থেকে আর কেউ ‘ইসলামপন্থী’ ও ‘সন্ত্রাসী’দের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগ্রামে এত বেশি সন্তুষ্টও নয়, সজাগও নয়। আসাদকে ধ্বংসের কসরত করতে গিয়ে পশ্চিমারা নিজেদের ভিজিয়ে ফেলেছে। অথচ মিসরীয় সেনাবাহিনী যখন আসাদের প্রতিপক্ষ সশস্ত্র ইসলামপন্থীদের পক্ষ নেওয়ায় দেশের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ফেলে দেয়, তখন তারা একটি আঙুলও নড়ায়নি। সেনাবাহিনীও মুরসির সমর্থকদের ‘সন্ত্রাসী ও গর্দভ’ বলে অভিহিত করে। ঠিক এই সম্ভাষণই কি আসাদও তাঁর শত্রুদের প্রতি করেন না? তাই আসাদ যখন বলেন, কারোরই উচিত নয় ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতা অর্জন করা, তখন অবাক হওয়ার কিছু নেই। এসব দেখে আমরা কেবল আড়ালে ফাঁকা হাসি হেসে নিতে পারি। কিন্তু তাতেই ওবামা রেহাই পেতে পারেন না। যেসব পশ্চিমা নেতা আমাদের নরম বদনে বলছেন যে মিসর এখনো ‘গণতন্ত্রের’ পথে আছে, বলছেন ‘আরে, এটা তো কেবল সাময়িক ব্যবস্থা’ তাঁদের মনে রাখা দরকার এ এমন এক ‘সাময়িক’ সরকার, যা তৈরি হয়েছে সামরিক কারখানায়। আরও মনে রাখা দরকার, মুরসি সত্যিকার ও পশ্চিমাদের অনুমোদিত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। হ্যাঁ, তিনি ৫১ শতাংশ—অথবা ৫২ শতাংশ—ভোটে জয়ী হয়েছেন।কিন্তু জর্জ ডব্লিউ বুশ কি আসলেই প্রথমবার নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন? মুরসি নিশ্চিতভাবেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের চেয়ে বেশি ভোটের অনুপাতে জয়ী হয়েছিলেন। হ্যাঁ, আমরা বলতে পারি, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সেবা করতে ব্যর্থ হওয়াতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থনও তিনি খুইয়ে ফেলেছেন। কিন্তু তার মানে কি এই যে, যখন জনমত জরিপে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রীদের জনপ্রিয়তা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে আসে, তখন ইউরোপীয় সেনাবাহিনীগুলোর উচিত দেশের ক্ষমতা দখল করা? কথা এখানেই শেষ নয়, মুসলিম ব্রাদারহুডকে কি মিসরের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে দেওয়া হবে? নাকি তাদের নিষিদ্ধ করা হবে? আর তারা যদি নির্বাচনে দাঁড়াতেও পারে, আবারও জয়ী হলে কী ঘটবে?তবে ইসরায়েল ব্যাপক খুশি। ক্যু কেমন জিনিস, তা তারা ভালোই চেনে ও জানে। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ঘোষিত একমাত্র ‘গণতন্ত্র’ হয়ে তারা দিব্যি আড়াল থেকে খেলছে অতি চেনা খেলা। ইসরায়েল কেবল একধরনের প্রতিবেশীদেরই পছন্দ করে: সেনাশাসক। আর মিসরের বিত্তশালী কিংমেকার সেনাবাহিনী যত দিন ওয়াশিংটনের কাছ থেকে বছরে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পেতে থাকবে—যদিও এ মুহূর্তে স্থগিত—তত দিন ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের দেশের শান্তি চুক্তিও অক্ষত থাকবে। হোক না তা মিসরের জনগণের একেবারেই অপছন্দের সম্পর্ক, অথচ তাদের নামেই তারা ঘটিয়েছে এক ক্যু-কিন্তু-ক্যু-না। তত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা, যত দিন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল সেই অভ্যুত্থানপীড়িত দেশ সফরে আসবে। এবং তখনই আপনারা জানতে পারবেন, তারা আসলে কী বিশ্বাস করে এবং নিশ্চিতভাবেই কায়রোয় যাদের সঙ্গে তারা দেখা করবে, তারা আর কেউ নয়, সেনা কর্মকর্তা। ব্রিটেনের দি ইনডিপেনডেন্ট থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ ফারুক ওয়াসিফরবার্ট ফিস্ক: মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ব্রিটিশ সংবাদদাতা।
৩ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘দ্বিতীয় দফার ভর্তি চক্রে আসন শূন্য চার শতাধিক’ শিরোনামে প্রতিবেদনে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত টানা হয়েছে যে, দ্বিতীয় দফায় ভর্তির সুযোগ থাকায় প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কয়েক শ আসন খালি থেকে যাচ্ছে। দেশের অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ হিসাবে আনলে সংখ্যাটি কয়েক হাজার হবে। এ বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচলিত ভর্তি-প্রক্রিয়ার কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভোগান্তি ও অর্থের অপচয় হয়। তাই একটি সমন্বিত ভর্তি-প্রক্রিয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এইচএসসি পাসের পর শিক্ষার্থীরা এক ও সমন্বিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারলেও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে একাধিক পরীক্ষা দিতে হয়। শুধু ভর্তি পরীক্ষার ফরম কিনলেই হয় না, সেখানে যাওয়া-আসা করা এবং নিদেনপক্ষে দুটো দিন থাকার ব্যবস্থা করার পেছনেও প্রচুর অর্থ খরচ হয়। নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ঘর থেকে আসা সন্তানদের পক্ষে এক মৌসুমে এতগুলো অর্থের সংস্থান করা কঠিনই হয়ে দাঁড়ায়। তা ছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ পরিবর্তন কিংবা একই বিভাগেই একাধিক বিষয়ের জন্য একাধিক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে দুই থেকে তিনটি মাস পরীক্ষা ও যাতায়াত করেই কাটাতে হয়।এসএসসি ও এইচএসসির মতো দু-দুটো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন একই বিষয়ে আবার পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে—এ নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকে মনে করেন, এর মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে গুরুত্ব হারায়। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বিভাগ পরিবর্তন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন—এই দুটো কারণে প্রতিবছর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক শ করে আসন খালি থাকছে।সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় পাসের হার দারুণভাবে বেড়েছে, অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না। ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবেদনটি নিদারুণ দুঃখজনক ব্যাপার হিসেবেই দেখা দেবে। অবশ্য বছরের শুরুর দিকে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিশাল অংশ ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর তুলতে পারছে না। একদিকে সর্বোচ্চ ফল করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নানা বিড়ম্বনা এবং পাশাপাশি আসন শূন্য থাকা—সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়াটিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সম-ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এখন উচিত নিজেরা একত্রে বসে একটি সমন্বিত পন্থা বের করা, যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার ধকলটা কম যায় এবং সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে ভর্তি-প্রক্রিয়ার সব কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা বাবদ কিছু অর্থ বরাদ্দ করে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশের শিক্ষাবিদ ও অন্য গবেষকদের নিয়ে একটি গবেষক দল গঠন করে গবেষণার মাধ্যমে কার্যকর ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সুপারিশ করতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা বাস্তবায়ন করতে পারে।প্রতিবেদনটিতে আসন শূন্যতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে গিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ ছাপা হয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণের সুযোগ রয়েছে। একটি পরামর্শ এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া। উদাহরণ হিসেবে এখানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা হয়েছে, যারা দ্বিতীয় দফায় ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্ঝঞ্ঝাটে পরীক্ষা দিতে পারে না, পরীক্ষার আগে নানা জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয় এবং নানা টেনশন মাথায় নিয়ে পরীক্ষা দেয়, সেখানে এই বন্ধ করে দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত কি না, তা আরও গভীরভাবে ভাবা দরকার। বলা হয়েছে, যারা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়, তারা বেশি দিন ধরে প্রস্তুতি নিতে পারে, যা কিনা নতুনদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বৈষম্য সৃষ্টি করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিষয়টি একেবারেই উল্টো। কারণ, যারা প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষা দেয়, তারা দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা-পরবর্তী সময়টা তারা ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েই কাটায়। ফলে সব মিলিয়ে বছর তিনেকের মতো টানা সময় পায় তারা। অন্যদিকে যারা দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা দেয়, তাদের একটি বিরাট অংশ বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি থাকে। সেখানে তাকে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে হয় ক্লাসে উপস্থিত থেকে এবং নিদেনপক্ষে একটি বা দুটি সেমিস্টারে পার করতে হয়। কাজটি করতে গিয়ে তাকে উল্লেখযোগ্য সময় দিতে হয় পড়ালেখার কাজেই—সেখান থেকে কিছুটা সময় বের করে নিয়ে পরবর্তী বছর ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। সুতরাং প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির যে প্রসঙ্গটি এসেছে, সেটি একেবারে উল্টোভাবেই এসেছে বলে মনে করি। তবে এটা ঠিক, যারা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়, তারা মানসিকভাবে অনেকটা এগিয়ে থাকে। কারণ, ইতিমধ্যে তাদের ভর্তি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। তবে কত শতাংশ শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তি হতে পারবে, তার একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষার কথা বলা হয়। সেটির আগে বরং ভর্তি পরীক্ষাকে মানসম্মত করতে হবে। পরীক্ষাপদ্ধতি ঠিক না থাকলে উচ্চশিক্ষায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আসতে পারবে না, ঝরে যাবে শুরুতেই। ইতিমধ্যে সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে, সুতরাং চাইলে উন্নততর পদ্ধতি বের করে সেগুলোর সমাধান করা সম্ভব। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই সেটা করা উচিত। কিন্তু উদ্যোগ কে নেবে কিংবা এর সমাধানের দায়িত্ব কার, তা স্পষ্ট নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কি একত্রে বসে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে?গৌতম রায়: প্রভাষক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী। goutamroy@ru.ac.bd
প্রার্থনাদক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত কারণে গত ৮ জুন থেকে প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হার্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে নেলসন ম্যান্ডেলার সুস্থতা কামনা করে চলছে নীরব প্রার্থনা। কেউ চান না এমন মহান নেতার বিদায়। কেননা, ধরণি তাঁর (ম্যান্ডেলা) নিঃস্বার্থ অবদানের পাণ্ডুলিপিকে আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়। সেই সঙ্গে নেলসন ম্যান্ডেলার হার না মানা সংগ্রামের ইতিহাসের আলোকে নতুন প্রজন্মকে পথ দেখাতে চায়। ৫০ বছর আগে ১৯৬৩ সালের ২৭ মে কয়েদি হিসেবে প্রথমবারের মতো রোবেন দ্বীপে পা রাখেন ম্যান্ডেলা। এ বছরের ২৭ মে ছিল তাঁর ৫০ বছর পূর্তি। ২৭ বছরের কারাজীবনের ১৮ বছরই কাটে এ দ্বীপে। জেলে তাঁর প্রতি অমানবিক অত্যাচার (যা ছিল শারীরিক ও মানসিকভাবে) তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে একচুল পরিমাণ সরাতে পারেনি। পরিবর্তে যেখানে অনেক তরুণ তাঁর ভাবশিষ্যে পরিণত হয়েছিলেন। বেছে নিয়েছিলেন ম্যান্ডেলার আদর্শকে। ম্যান্ডেলা কখনো প্রতিহিংসাপরায়ণ নন। তিনি সমঝোতায় ও শান্তিতে বিশ্বাসী। বিশ্বাসী অধিকার আদায়ে। তাই তো কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ে এবং একটি বর্ণবৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে তিনি সব সময় কাজ করেছেন। তাঁর এই দীর্ঘ সংগ্রামের পথকে চিরন্তন সাধুবাদ জানাই। কামনা করি তাঁর সুস্থতা। জীবনের সুদীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দেওয়া, সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করা বর্ণবৈষম্য দূর করার মধ্য দিয়ে, এই ত্যাগী ও মহান রাষ্ট্রনায়কের রোগমুক্তি কামনা করি। সঞ্জয় কুমার ভৌমিক সহকারী শিক্ষক, আলীশারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল।
মাত্র কয়েক মাস আগে ঘোষণার চেয়ে বেশি সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করায় ১৭ বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন পরিস্থিতি পুরোটাই উল্টে গেছে।ব্যাংকগুলো আমানত ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আমানতের আর চাহিদা নেই। আমানতের সুদহার ব্যাংকগুলোর বেঁধে দেওয়া হারের নিচে নেমে গেছে।বরং ব্যাংক ভরে যে অলস অর্থ পড়ে আছে, সেই অর্থ বিনিয়োগের পথ খোঁজাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে টাকা খাটিয়েও তেমন কিছু মিলছে না, নিতে চায় না কেউ। ফল দাঁড়িয়েছে, কলমানি হার সাম্প্রতিককালে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশে উঠেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের প্রস্তুত করা মে মাসভিত্তিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যাংকগুলোতে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। দেশে বিনিয়োগ মন্দাই এর প্রধানতম কারণ।অর্থনীতিতে চাহিদা কমে গেছে—এ কথা অনেক দিন ধরেই বলা হচ্ছিল। এবার ব্যাংকগুলোর ষাণ্মাসিক মুনাফায় টান পড়ায় নতুন করে চাহিদা কমে যাওয়ার কথাটি জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আরও কিছু কারণের সঙ্গে ২০১৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমে যাওয়ার জন্য চাহিদা কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে।বছরের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় প্রভাব পড়ে। এ সময় ব্যাংকগুলোও তেমন ঋণ দিতে পারেনি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় নতুন বিনিয়োগের আগ্রহ হারান ব্যবসায়ীরা। এ ধারা চলে আসছে বিগত বছরের শেষ দিক থেকে।অন্যদিকে গত বছরের শেষভাগ থেকেই ধারাবাহিকভাবে আমদানি কমেছে। আমদানি কমে আসার কারণ দুটি। প্রথমত, বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য কমেছে। দ্বিতীয়ত, দেশের আমদানি চাহিদা কমেছে। কৃষি ও খাদ্যপণ্য, বিশেষত চাল আমদানি কমেছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে। আর পেট্রোলিয়াম বা জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায়ও আমদানি ব্যয় কমেছে।কমেছে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিও। শিল্পের কাঁচামাল আমদানিও কমেছে। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি থাকলেও নিম্ন পর্যায়ে প্রবৃদ্ধি থাকায় কাঁচামালের ব্যবহার কমেছে। অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকায় নতুন শিল্প স্থাপন ও বর্তমান শিল্পের সম্প্রসারণে বিনিয়োগ কমেছে।বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির হিসাবেও এর প্রমাণ মেলে। বিগত কয়েক মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে বড় আকারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে জুলাই-মার্চ সময়ে এই প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৯২ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও মুদ্রানীতিতে বছর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৫ ভাগ।শেয়ারবাজারেও মন্দা চলছে। সেখানে বিনিয়োগেও লাভ নেই। আবার ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ পরিবর্তন করে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের সীমা নির্ধারণে নতুন মাপকাঠি তৈরি হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেও ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ কমছে।এসব মিলিয়ে ভালো চলছে না ব্যাংকের ব্যবসা। এর প্রভাবে জানুয়ারি-জুলাই সময়ে বেশির ভাগ ব্যাংকেরই পরিচালন মুনাফা কমেছে।দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়াও বলা হচ্ছে, উচ্চ সুদের হার, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি, চাঁদাবাজির কারণে বিনিয়োগ পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।এর আগে গত এপ্রিল শেষেই বিনিয়োগের অভাবে ব্যাংক খাতে প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তহবিল পড়ে থাকার তথ্য মেলে। মে মাসে আরও প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা এর সঙ্গে যোগ হয়েছে। বিনিয়োগ মন্দায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। আগের বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ৪৬ হাজার কোটি টাকার মতো।
সার্বিকভাবে সূচক ও লেনদেনে চাঙাভাবের মধ্য দিয়ে আরেকটি সপ্তাহ পার করল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। মোট লেনদেন হওয়া চার কর্মদিবসের মধ্যে তিন দিনই বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। আর এক দিন ছিল নিম্নমুখী।আলোচ্য সপ্তাহে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল। সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও পরবর্তী সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সরকারের পুনঃ অর্থায়নের প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়ের খবরে বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ করা যায়। বদৌলতে লেনদেন ও সূচক বৃদ্ধি পায়।আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে প্রাধান্য ছিল জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও প্রকৌশল খাতের। সপ্তাহজুড়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ, আর প্রকৌশল খাতে ছিল সাড়ে ১১ শতাংশ।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪৯ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে এই বাজারে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৬০২ কোটি টাকার।গত সপ্তাহে সূচকও বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ বা ১২১ পয়েন্ট বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান ছিল ৪১৪৯ পয়েন্টে, সপ্তাহ শেষে যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২৭০ পয়েন্টে। একই সময়ে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক বেড়েছে ১১৬ পয়েন্ট। এটি সপ্তাহের শুরুতে ছিল চার হাজার ৪২২ পয়েন্ট, সপ্তাহ শেষে দাঁড়ায় চার হাজার ৫৪২ পয়েন্টে।গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে আগের চেয়ে দাম বেড়েছে ২২৬টির, কমেছে ৬০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে আটটির।
নিলামযোগ্য প্রায় তিন হাজার একক পণ্যভর্তি কনটেইনার পড়ে থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর এখন প্রতি ঘণ্টায় সোয়া দুই লাখ টাকার ভাড়া হারাচ্ছে।জানা গেছে, বন্দর চত্বরে পড়ে থাকা এই বিপুলসংখ্যক কনটেইনারে পণ্য আমদানি হয়েছিল ১৯৮৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। শুল্কায়ন জটিলতার কারণে আমদানিকারকেরা এসব পণ্য খালাস করেনি। আবার নিয়মবহির্ভূতভাবে পণ্য আমদানির কারণে জব্দ হওয়া কনটেইনারও রয়েছে এই তালিকায়।বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নানা কারণে এত বিপুলসংখ্যক কনটেইনার জমা হয়েছে। কখনো কখনো নিলামে তুলেও পড়ে থাকা কনটেইনারের পণ্য যেমন বিক্রি করা যায়নি। আবার মামলার কারণেও অনেক পণ্য নিলামে তুলে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। লোকবলের অভাবেও নিলাম প্রক্রিয়া শেষ করতে পারছে না কাস্টম হাউস। পরিণতিতে বন্দর চত্বরে নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।সম্প্রতি বন্দরের একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিলামযোগ্য এসব কনটেইনার যে জায়গা দখল করে আছে, তা ব্যবহার করে বন্দর চত্বরে বছরে এক লাখ একক কনটেইনার ওঠানো-নামানো সম্ভব। সে জন্য ওই কমিটি কনটেইনার পরিবহনের হার বাড়তে থাকায় পরিচালন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত নিলামে তুলে এসব পণ্য বিক্রির সুপারিশ করেছে।বন্দরের পরিবহন বিভাগের উপব্যবস্থাপক (ডিটিএম) মশিউর রহমান বেগকে প্রধান করে গঠিত একটি কমিটি সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটি দীর্ঘদিন পড়ে থাকা পণ্য নিলাম বা ধ্বংসের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে সাত দফা সুপারিশ করেছে। নিলামযোগ্য পণ্যের কারণে বন্দরের পরিচালন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল।বন্দরের সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নিলামযোগ্য পণ্য দ্রুত নিলামে বিক্রি করে বন্দরের মূল্যবান জায়গা উদ্ধার করতে কাস্টম হাউসের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। নিলামে পণ্য বিক্রি করে বন্দরের জায়গা মুক্ত করা গেলে পরিচালন কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে তিনি মনে করেন।হিসাব করে দেখা গেছে, বন্দরে কনটেইনার ধারণক্ষমতার ১০ শতাংশ দখল করে রাখছে নিলামযোগ্য কনটেইনার। এসব কনটেইনার রাখার জন্য প্রতিদিনের ভাড়া আসছে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় সোয়া দুই লাখ টাকা ভাড়া যোগ হচ্ছে এসব কনটেইনার রাখা বাবদ। এই টাকার সিংহভাগই পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ নিলামে তুলে বিক্রি হওয়া দামের মাত্র ২০ শতাংশ পাবে বন্দর। আর যেসব পণ্য পচে নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো থেকে এক টাকাও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের সিডব্লিউ ইয়ার্ড বা চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে ৩৪৬ একক কনটেইনার। এ ছাড়া অন্যান্য চত্বরেও নিলামের কনটেইনার পড়ে আছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এসব কনটেইনার জং ধরে ফেটে গেছে। কোনো কনটেইনার ছিদ্র হয়ে বা ফেটে গিয়ে পণ্যও বেরিয়ে আসছে।কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যেসব পণ্যের বিপরীতে মামলা রয়েছে সেসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আবার মামলা না থাকা কনটেইনারের পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ (ইনভেন্ট্রি) লিপিবদ্ধ করে নিলামে তুলে বিক্রির জন্য প্রতি সপ্তাহে ১০ জন রাজস্ব কর্মকর্তাকে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিলামযোগ্য পণ্য অপসারণ সম্ভব হবে।
রমজান মাসে মাংসের মূল্যপ্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাস শুরুর প্রাক্কালে ঢাকা সিটি করপোরেশন খোলাবাজারে গরু ও খাসির মাংসের কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ ধরনের মূল্য ঘোষণা ঢাকা সিটি করপোরেশন কেন করে, কিসের ভিত্তিতে করে বা কার স্বার্থে করে, তা বোধগম্য নয়। কারণ, খোলাবাজারে যেকোনো ধরনের নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণত চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। রমজান মাসে আমাদের দেশে সাধারণভাবে কিছু কিছু নিত্যপণ্যের, যেমন মাছ-মাংস, দুধ, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, ছোলা বুট, পেঁয়াজ, মুড়ি ইত্যাদি ছাড়াও কয়েক ধরনের সবজির চাহিদা তুলনামূলক বাড়ে। সেদিকে লক্ষ রেখে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবি বেসরকারি আমদানিকারকদের পাশাপাশি কিছু কিছু ভোগ্যপণ্য সরাসরি আমদানি করে নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে। এ ছাড়া তাদের সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী নগরের ক্রেতাদের কাছে সরাসরি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। এতে করে যৎসামান্য হলেও চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে অবদান রাখতে টিসিবিকে চেষ্টা করতে দেখা যায়। অনুরূপভাবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে হিমায়িত মাছ এবং আরও দু-একটি সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রমজান মাসে কিছু কিছু নিত্যপণ্য সরবরাহের মাধ্যমে নগরবাসীর চাহিদা পূরণে সচেষ্ট হতে দেখা যায়। অথচ রমজান মাসে গরু-খাসির মাংসের বাড়তি চাহিদা পূরণে বাড়তি সরবরাহের ক্ষেত্রে ন্যূনতম অবদান না রাখা সত্ত্বেও ঢাকা সিটি করপোরেশন কর্তৃক এ ধরনের সর্বোচ্চ মূল্য ঘোষণার কারণ তারাই ভালো জানে। শুধু তা-ই নয়, অযাচিতভাবে ঘোষিত ওই মূল্যতালিকা অনুযায়ী নগরের কাঁচাবাজারগুলোতে, অলিগলির মাংসের দোকান, এমনকি রমজান মাসে পাড়ায় পাড়ায় রাস্তার আশপাশে খোলা জায়গায় স্থাপিত মাংস বিক্রেতারা কর্তৃক মাংস বিক্রি হচ্ছে কি না, অন্যথা হলে কাউকে শাস্তি দেওয়া হয় কি না, ভেজাল মাংস তথা দেশি গরুর নামে বিদেশি গরুর মাংস বা মহিষের মাংস, খাসির মাংসের নামে বকরি বা ভেড়ার মাংস বিক্রি করে ক্রেতাদের প্রতারিত করা হচ্ছে কি না, তারও কোনো তদারকি ঢাকা সিটি করপোরেশনকে পালন করতে দেখা যায় না। আর এসব না করেই প্রতি রমজান মাসে রুটিনমাফিক এ ধরনের গরু-খাসির মাংসের মূল্য ঘোষণা স্রেফ ভণ্ডামি আর অনর্থক কাজ বলেই বিবেচিত হয়।শাহীদুল আযমউত্তর টোলারবাগ, মিরপুর, ঢাকা।
আর্থিক সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তিন বছর বন্ধ থাকার পর খুলনা হার্ডবোর্ড মিল চলতি জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আবার উৎপাদনে যাচ্ছে।মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ হলে চতুর্থ সপ্তাহে উৎপাদন শুরু হবে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই মিলে। খবর বাসসের।এ লক্ষ্যে উৎপাদন বিভাগের বিভিন্ন যন্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কারখানা চালুর জন্য রক্ষণাবেক্ষণ ও চলতি মূলধন হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় শর্ত সাপেক্ষে ১০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি)।গত দুই বছর মিলটি বন্ধ থাকায় প্রায় ৪০ কোটি টাকার হার্ডবোর্ড উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিসিআইসি।সুন্দরবনের আগামরা সুন্দরী কাঠের ওপর নির্ভর করে নগরের খালিশপুরে ভৈরব নদের তীরে ৯ দশমিক ৯৬ একর জমির ওপর কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন ১৯৬৫ সালে হার্ডবোর্ড মিল স্থাপন করে। ১৯৬৬ সালে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। শুরুতেই বছরে ২১৫ লাখ বর্গফুট হার্ডবোর্ড উৎপাদন করতে থাকে মিলটি। উৎপাদন খরচের চেয়ে বেশি লাভ করায় স্বর্ণপদক পায় খুলনা হার্ডবোর্ড মিল।১৯৯১ সালে সরকারের নির্দেশে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ সুন্দরবনের আগামরা সুন্দরী কাঠ হার্ডবোর্ড মিলকে দেওয়া বন্ধ করে। এর পর থেকে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির জ্বালানি কাঠ বেশি দামে ক্রয় করে মিলটির উৎপাদন চালু রাখে বিসিআইসি।সরকার ভর্তুকি না দেওয়ায় ও চড়া দামে দেশীয় জ্বালানি কাঠ ক্রয়সহ দফায় দফায় ফার্নেস অয়েলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকে মিলটি।আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে ২০০২ সালের ১৫ ডিসেম্বর আবারও মিলটি বন্ধ করে দেয় বিসিআইসি। এতে বেকার হয়ে পড়েন প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক। তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকেন।খুলনাবাসীর আন্দোলনের মুখে অবশেষে ২০০৫ সালের ১৪ আগস্ট মিলটি পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি ও মূলধনের অভাবে দফায় দফায় বন্ধ হতে থাকে পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে উৎপাদনে যাওয়া এই মিল। সর্বশেষ ২০১০ সালের ১৬ জুলাই অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আবারও মিলটি বন্ধ হয়ে যায়।মিলের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম গতকাল বাসসকে জানান, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাঁচ কোটি ও চলতি মূলধন হিসেবে পাঁচ কোটিসহ মোট ১০ কোটি টাকা চেয়ে বিসিআইসি ২০১০ সালের অক্টোবরে একটি প্রস্তাবনাপত্র অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।পরে খুলনা হার্ডবোর্ড মিল ব্রেক ইভেনে (না লাভ না লোকসান) যাওয়ার শর্তে ১০ কোটি টাকা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে তিন কিস্তিতে ১০ কোটি টাকা হাতে পায় বিসিআইসি। ২০১২ সালের নভেম্বরে বিসিআইসি হার্ডবোর্ড মিল কর্তৃপক্ষের কাছে এ টাকা হস্তান্তর করে।এ ব্যাপারে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী রুহুল আমিন বলেন, বিসিআইসি থেকে তিন কিস্তিতে যে পরিমাণ অর্থ হাতে পাওয়া গেছে, তা দিয়ে কাজ প্রায় শেষ করার পথে। তিনি বলেন, মিলের উৎপাদন বন্ধের আগে প্রতি পিস হার্ডবোর্ড তৈরি করতে খরচ হতো ৩৮০ টাকা। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন প্রতি পিস হার্ডবোর্ডের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় এ হার্ডবোর্ড বাজারে বিক্রি করা হতো ২৬২ টাকায়।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও কলকাতায় শুরু হয়েছে পর্যটন মেলা বা ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার। এই পর্যটন মেলায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং বাংলাদেশসহ নয়টি দেশের ৩০০টি প্রতিষ্ঠান যোগ দিয়েছে। তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে শুক্রবার সকালে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। শেষ হবে আজ রোববার।কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো. ওমর ফারুক বলেছেন, এ বছর বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের নেতৃত্বে ১১টি টুর অপারেটরস সংস্থা যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়া আরও যোগ দিয়েছে চীন, ডেনমার্ক, দুবাই, ফিনল্যান্ড, ম্যাকাও, নেপাল, থাইল্যান্ড ও তুরস্কের বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা।বাংলাদেশের টুর অপারেটররা এদিন এই মেলায় বাংলাদেশ ভ্রমণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে এখন বহু পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে, যা বিদেশিদের মুগ্ধ করবে। তা ছাড়া এসব পর্যটনকেন্দ্রে বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতসহ থাকারও সুব্যবস্থা রয়েছে। তাঁরা ভারতীয় পর্যটকদের বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের টুর অপারেটররা সস্তায় বাংলাদেশ ভ্রমণের বিভিন্ন প্যাকেজও ঘোষণা করেন।
নিউইয়র্কের ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে মূলত মেয়েদের কাপড় তৈরি করা হতো। তৈরি পোশাকের এই কারখানা ছিল ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কের পাশে অ্যাশ বিল্ডিংয়ের অষ্টম, নবম ও দশম তলায়। কারখানায় কাজ করতেন ৫০০ শ্রমিক। তাঁদের বড় অংশই ছিলেন অভিবাসী নারী, তাঁরা সপ্তাহে আয় করতেন সাত থেকে ১২ ডলার। এটি ছিল ব্লাউজ তৈরির সে সময়ের সর্ববৃহৎ পোশাক কারখানা।১৯১১ সালের ২৫ মার্চ এই কারখানায় আগুন লাগে। বিকেল চারটা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার পর চারটা ৪৫ মিনিটে প্রথম অ্যালার্ম বাজানো হয়েছিল। তবে শ্রমিকেরা বের হতে পারেননি। কারণ, সিঁড়িতে যাওয়ার সব কটি দরজায় কারখানার ম্যানেজার তালা লাগিয়ে রেখেছিলেন। এ ঘটনায় ১৪৬ জন শ্রমিক মারা যান। সবচেয়ে কম বয়সের যে মেয়েটি মারা যায়, তার বয়স ছিল ১৪ বছর।আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া যায়। কারখানার দুই মালিক মাক্স ব্ল্যাঙ্ক ও আইজাক হ্যারিস, দুজনই আগুন লাগার সময় কারখানায় ছিলেন এবং কারখানা থেকে বের হয়ে যান। ১০ তলা এই ভবন থেকে কেউ কেউ লাফ দিয়ে বাঁচারও চেষ্টা করেছিলেন। সবচেয়ে হূদয়বিদারক দৃশ্যটির কথা এখনো উল্লেখ করা হয়। নিচে অসংখ্য মানুষ দেখেছে, লাফ দেওয়ার ঠিক আগে একজন পুরুষ শ্রমিক একজন নারী শ্রমিককে চুম্বন করছেন। এই ভবন এখন ব্রাউন বিল্ডিং নামে পরিচিত এবং একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রেরই ম্যাসাচুসেটসে পেমবারটন মিল ধসে পড়েছিল ১৮৬০ সালের ১০ জানুয়ারি। এতে ১৪৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ ভবনটি ধসে পড়ল কেন? দোষটি ছিল এর মালিকের। তাঁরা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ভারী ভারী যন্ত্রপাতি বসিয়েছিলেন। তদন্তে দেখা গেছে, ক্ষমতার অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি বসানো ছাড়াও অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল।আবার ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরির কথা। এই ঘটনায় ১৪৬ জন মারা গেলেও ছয়জনকে চিহ্নিত করা যায়নি। এতটাই পোড়া ছিল যে, কেউই চিনতে পারেননি তাঁদের। এ ঘটনার ১০০ বছর পর ২০১১ সালে ওই ছয়জনের পরিচয় উদ্ধার করা হয়। গত ১০০ বছরে এ ঘটনা নিয়ে একাধিক সিনেমা হয়েছে, মঞ্চনাটক করা হয়েছে, অসংখ্য গান রচিত হয়েছে। মালিকদের অবহেলায় ১৪৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু সে সময়ে মার্কিন রাজনীতিতেও ঝড় তুলেছিল।আগুন লাগার এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের আইনকানুন পুরোটাই বদলে দিয়েছিল। দুই মালিকের বিরুদ্ধে মানবহত্যার অভিযোগ এনে বিচার হয়। তবে সবচেয়ে বড় যে কাজটি হয়, তা হলো সমাজকর্মী ফ্রান্সিস পারকিনসের নেতৃত্বে একটি জননিরাপত্তা কমিটি গঠন। সেই কমিটির সুপারিশ মেনে শ্রমিকদের অনুকূলে এবং নিরাপত্তা বাড়াতে অনেক আইন হয়। কারখানা পরিদর্শনের জন্য একটি কমিশনও গঠন করা হয়েছিল। এই কমিশন সব কারখানা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিলে তারই ভিত্তিতে কারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়। বাড়ানো হয় কারখানার নিরাপত্তামান। শ্রম আইনেরও সংশোধন হয় সে সময়েই। এই আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় লাইনটি হলো, ‘দ্য ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট ফায়ার: দ্য ফায়ার দ্যাট চেঞ্জ আমেরিকা’।আরও একটি দিক থেকে এই ঘটনা মার্কিন রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল। ডেমোক্র্যাটরা সেই প্রথম শ্রমিকদের পক্ষে দাঁড়ায় এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ আন্দোলনে বেশ ভালোভাবেই সম্পৃক্ত হয়েছিল। তখন থেকেই শ্রমিকেরা ডেমোক্র্যাটদের বড় ভোটব্যাংক। এখনো বলা হয়, ডেমোক্র্যাটরা শ্রমিকবান্ধব, আর রিপাবলিকানরা ব্যবসায়ীবান্ধব।এর ১০১ বছর পর ঢাকার রানা প্লাজা ধসে মারা গেলেন এক হাজার ১৩১ জন শ্রমিক। এখনো নিখোঁজ অনেকে। অনেকের পরিচয় এখনো উদ্ধার করা যায়নি। এই ঘটনায় নিউইয়র্কের ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরির কথা আবার নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। রানা প্লাজা ধসের পরও শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে শ্রমিকের স্বার্থরক্ষা হয়েছে, তা কেউ বলছেন না। বরং বলা যায়, মালিকদের স্বার্থরক্ষাই বেশি হচ্ছে। এখন তৃতীয়বারের মতো আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবার কারখানা পরিদর্শনের কথা বলা হলেও এর ফলাফল দৃশ্যমান নয়। তবে সবচেয়ে বড় নেতিবাচক ঘটনাটি হলো, এর ঠিক পরপরই বাংলাদেশ সেই যুক্তরাষ্ট্র থেকেই অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যসুবিধা বা জিএসপি হারাল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখন ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায়। আর জিএসপি বাতিলের জন্য আবেদন করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়ন সংস্থা এএফএল-সিআইও। প্রতিষ্ঠানটি ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক। সেই ১৯১১ সাল থেকেই শ্রমিকেরা ডেমোক্র্যাটদের বড় ভোটব্যাংক।আরও একটা মজার ব্যাপার আছে। যুক্তরাষ্ট্র তৈরি পোশাক খাতে কোনো ধরনের সুবিধা দেয় না। অথচ জিএসপি সুবিধা বাতিল হলো তৈরি পোশাক খাতের কারণেই। অনেক দিন ধরে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা চেয়ে আসছে। এ জন্য বহু অর্থ খরচ করে লবিস্টও নিয়োগ করা হয়েছিল। সবাই জানতেন, ২০০৫ সাল থেকে কোটাব্যবস্থা আর থাকছেই না। তার পরও শুল্কমুক্তের পাশাপাশি কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের দাবি ছিল বিজিএমইএর। দীর্ঘ এক দশকের সেই চেষ্টার সর্বশেষ ফল হচ্ছে জিএসপি সুবিধা হারানো। গত নভেম্বরে প্রথমে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড এবং পরে এ বছরের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় জিএসপি বাঁচানোর কোনো উপায় অবশ্য আর ছিল না।তবে মজার কাণ্ডটি করেছে বিএনপি ও খালেদা জিয়া। জিএসপি বাতিলের সুপারিশ করে খালেদা জিয়ার লেখা একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমস-এ। কিন্তু সত্যি সত্যি জিএসপি স্থগিত হওয়ায় এখন রাজনৈতিকভাবে বিপাকে পড়েছে দলটি। ১৯১১ সালে ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগার পর শ্রমিকদের পক্ষে নেমে ঘটনাটি পুরোপুরি নিজের অনুকূলে নিয়ে এসেছিল ডেমোক্র্যাটরা। অথচ বিএনপি অবস্থান নিল শ্রমিকদের বিপক্ষে। কারণ, জিএসপি স্থগিত হওয়ায় প্রকৃতপক্ষে ক্ষতি শ্রমিকদেরই। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ঠিকমতো রাজনীতি করাও শিখল না।হাস্যকর কাজ করার ক্ষেত্রে সরকারি দলও পিছিয়ে নেই। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বক্তৃতা দিচ্ছেন, খালেদা জিয়ার ওই লেখার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছে। এ ধরনের রাজনৈতিক কথাবার্তায় রাজনীতির মাঠ গরম হয় ঠিকই, কিন্তু জিএসপি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে কোনো কিছুই হয় না। বাংলাদেশ অদ্ভুত এক দেশ। এখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, অথচ শেয়ারবাজারে নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি হয় বিএনপির নেতা-সমর্থক-বন্ধুদের কারণে। আর জিএসপি বাতিল হয় বিরোধীদলীয় নেত্রীর লেখায়। ফালু-বাদল আর খালেদা জিয়ার কারণেই যদি এত বড় সর্বনাশ হয়, তাহলে সরকার আছে কেন? সাধারণ মানুষকে এখনো বোকা ভাবেন উভয় দলের নেতা-নেত্রীরা।ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগার ঘটনায় মার্কিনরা নিজেদের উদ্যোগেই তৈরি পোশাকশিল্পের পুরো কর্মপরিবেশ পাল্টে দিয়েছিল। অথচ আমরা যা করছি, তা সবই বাইরের চাপে। যদি জিএসপি বাতিলের চাপ না থাকত, যদি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন হুমকি না দিত, তাহলে শ্রম আইন সংশোধন, মজুরি বোর্ড গঠন—এসব কিছুই হতো না। তাজরীনের ঘটনার সময় জিএসপি বাতিলের হুমকি নাকের ডগায় ছিল না। ফলে তাজরীনের মালিক দেলোয়ার হোসেন এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রানা প্লাজা ও কারখানার মালিকদের ভাগ্য খারাপ, বাইরের চাপটা বেশি হওয়ায় সরকারের আর উপায় ছিল না। ইতিহাস বলে, বাংলাদেশ সব সময় অর্থনীতিতে বা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করেছে দাতাদের দেওয়া সাহায্যের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে। একসময় বাংলাদেশ ছিল সাহায্যনির্ভর একটি দেশ। এখন বাংলাদেশ বাণিজ্যনির্ভর দেশে পরিণত হচ্ছে। অথচ স্বভাব সেই আগের মতোই।জিএসপি বাতিলের দিন নিউইয়র্ক টাইমস তার সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করে বলেছিল, ‘শেখ হাসিনার মতো নেতারা খুব চাপে না পড়লে এমন কোনো পরিকল্পনা নিতে চান না, যাতে কারখানার মালিক ও তাঁদের পরিবার ক্ষুব্ধ হয়। বাংলাদেশের লাখ লাখ শ্রমিকের জীবন যখন বিপন্ন, তখন বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য আমেরিকান ও ইউরোপীয় নেতাদের হাতে যে দু-একটি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আছে, সেগুলোকে লাগাতে হবে।’ অর্থাৎ সবাই এখন জানে, বাংলাদেশকে দিয়ে কীভাবে কাজ করাতে হয়।ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন জিএসপি আসছে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। মার্কিন জিএসপি কবে ফিরে পাওয়া যাবে, কেউ জানে না। সুতরাং চাপটা আরও কিছুদিন থাকবে বাংলাদেশের ওপর। রানা প্লাজার ঘটনা সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু এ ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটলে সেটি হবে চূড়ান্ত বিপর্যয়।তবে শর্ত বা চাপের কারণে নয়, প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে নিজেদের উদ্যোগে, নিজেদের তাগিদে। এর আগের মজুরি বোর্ডে কী হয়েছিল, মনে আছে তো? মালিকেরা মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করে ন্যূনতম মজুরিকাঠামো কমিয়ে এনেছিলেন। তথাকথিত কিছু শ্রমিকনেতা হাত মিলিয়েছিলেন মালিকদের সঙ্গে। এবার যাতে সেটি না হয়। লোকবল নেই, তাই কারখানা পরিদর্শন করা যায় না বলে সরকারি সংস্থাগুলো বছরের পর বছর বলে আসছে। এখন পর্যন্ত কি লোকবল বাড়ানোর একটা উদ্যোগও কারও চোখে পড়েছে? বাজেটে কি এ নিয়ে একটা কথাও আছে? রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোতে (ইপিজেড) শ্রমিক ইউনিয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া কী হবে, কেউ কি জানে? আমিনুল ইসলামের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার রাজনৈতিক সদিচ্ছা কি সরকারের আদৌ আছে?‘করছি’ আর ‘করব’র দিন শেষ। এখন কাজটি ‘করে’ দেখাতে হবে। সবকিছু অস্বীকার করার প্রবণতা থেকে সরকার ও বিজিএমইএ—উভয়কেই বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে বড় সর্বনাশ সামনে আসবে।শওকত হোসেন: সাংবাদিক।shawkat_palo@yahoo.com
মোবাইল হ্যান্ডসেট কোম্পানি সিম্ফনির সহযোগিতায় গ্রামীণফোন ‘ফানস্টোর’ নামে মোবাইল কনটেন্ট স্টোর চালু করেছে।রাজধানীর একটি হোটেলে গত বৃহস্পতিবার এই ফানস্টোরের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। এ সময় গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা অ্যালান বনকে, সিম্ফনির পরিচালক রেজওয়ানুল হক ও সিম্ফনির সহযোগী প্রতিষ্ঠান মোম্যাজিক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক অরুণ গুপ্তা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই ফানস্টোরের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা গেমস, রিংটোন, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন, অডিও, লাইভ ওয়ালপেপার, ভিডিও ইত্যাদি বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য অর্থ ব্যয় করতে হবে। এ ছাড়া স্টোরের ভেতরে গ্রামীণফোনের একটি ব্র্যান্ডেড শেলফ থাকবে, যা নিজস্ব কনটেন্ট ‘জিপি আপ’ প্রচার করবে।অ্যালান বনকে বলেন, গ্রামীণফোন সব সময় নিত্যনতুন পণ্য ও সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মোবাইল কনটেন্ট স্টোরটি সেই প্রতিশ্রুতিরই অংশ।অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, কোনো হ্যান্ডসেট কোম্পানির সঙ্গে কোনো মোবাইল অপারেটর কোম্পানির যুক্ত হওয়ার উদাহরণ দেশে এটাই প্রথম।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর কুয়েত থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ থেকে অবৈধভাবে আনা ২১৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। মোট ২৫ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের এই স্বর্ণের বাজারদর প্রায় নয় কোটি টাকা বলে শুল্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।গতকাল শনিবার দুপুরে বিমানবন্দরে কর্মরত শুল্ক বিভাগ ও এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা উড়োজাহাজের ভেতর একটি আসনের নিচ থেকে স্বর্ণের এসব বার উদ্ধার করেন। তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। শুল্ক বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানের কুয়েত ফ্লাইটে স্বর্ণের চালান আসছে, এ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই ফ্লাইটে আসা সব যাত্রীর দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। পরে উড়োজাহাজের ভেতরে ১৬ নম্বর আসনের নিচে স্বর্ণের চালানটি পাওয়া যায়। উদ্ধার করা স্বর্ণ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, শুল্ক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তৎপরতা টের পেয়ে চোরাচালানকারী স্বর্ণের চালানটি ওই আসনের নিচে ফেলে রেখে আসে। ওই কর্মকর্তার ধারণা, বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা কেউ শুল্ক গোয়েন্দা ও এনএসআইয়ের তৎপরতার কথা বিমানে থাকা চোরাচালানকারীকে জানিয়ে দিয়েছে।
প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দো-লনের উদ্যোগে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, অভিভাবকেরা কখনো নিরাশ হবেন না। অনেক পরিবারে হয়তো এই সমস্যা আছে। সুস্থ হতে সময় লাগে। সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত। রাজধানী ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে গতকাল শনিবার এ পরামর্শ সহায়তা-৪০ অনুষ্ঠান হয়।পরামর্শ সভায় বক্তারা বলেন, নিজেদের ইচ্ছাকে জোর করে সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। ভালো কাজ করলে তার জন্য প্রশংসা করতে হবে। বাড়ির পরিবেশ ও বাবা-মায়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে।মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাদের অভিভাবকদের সমস্যা শুনে পরামর্শ দেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক, মোহিত কামাল, সহকারী অধ্যাপক অভ্রদাশ ভৌমিক, মেখলা সরকার, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ইকবাল মাসুদ, আপনের নির্বাহী পরিচালক ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল।অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রথম আলো ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ফেরদৌস ফয়সাল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত যুবক ইয়াছিন বেপারী (২২) গতকাল শনিবার ঢাকামেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।গত সোমবার রাজধানীর গোলাপ শাহ মাজারসংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে ডিবির এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। তখনইয়াছিন ছাড়াও রবিন নামের এক যুবক ও ডিবির কনস্টেবল আবদুল আজিজ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।ডিবি পুলিশ জানায়, সম্প্রতি কলাবাগানে একটি এটিএম বুথসহ বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতির ঘটনায় একদল ডাকাতকেশনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় প্রথমে কোরবান আলী নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ততথ্য অনুযায়ী গত সোমবার রাতে অন্যদের ধরার জন্য অভিযান চালানো হলে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে ডিবিরবন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে কনস্টেবল আবদুল আজিজ এবং ইয়াছিন ও রবিন গুলিবিদ্ধ হন।তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ডিবি একটি পিকআপ ভ্যান ও ভ্যানেথাকা ১৫টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে পুলিশের ওপর হামলা, ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইয়াছিন,কোরবান ও রবিনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় দুটি মামলা হয়। ইয়াছিন ও কোরবান দুই ভাই।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, ইয়াছিনের পেটে ও হাতে গুলি লেগেছিল। গতকাল দুপুর ১২টার দিকেঅস্ত্রোপচারের পর তাঁকে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা যান।ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রবিনকে আদালতেরমাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কোরবানও কারাগারে আছেন। কনস্টেবল আবদুল আজিজ ঢাকা মেডিকেলেই চিকিৎসাধীন আছেন।ইয়াছিনের বাবা সোবহান বেপারী সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর আট সন্তানের মধ্যে ইয়াছিন পঞ্চম ও কোরবান ষষ্ঠ। স্ত্রী ওএক সন্তান নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ীতে থাকতেন ইয়াছিন।অন্যদিকে কোরবান আগে রামপুরা থাকলেও পাঁচ-ছয় মাস ধরে কোথায় থাকতেন তা তিনি জানতেন না। এ দুজনেরবিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ সম্পর্কেও তিনি কিছুই জানতেন না। গত সোমবার সকালে রবিন বাসা থেকে ইয়াছিনকে ডেকেনিয়ে গিয়েছিলেন।
এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের শাখা ব্যবস্থাপক ও নির্বাহীদের দুই দিনব্যাপী অর্ধবার্ষিক সম্মেলন গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হয়েছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান এ এস এম মাঈনউদ্দিন মোনেম, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র পরিচালক কে এ এম হারুন।এতে অন্যান্যের মধ্যে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার দাশ, টি এম ফারুক চৌধুরী ও আখতার হামিদ খান এবং ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও শাখা ব্যবস্থাপকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বড় ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাভার ট্র্যাজেডিতে সহস্রাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার যে হুমকি দিয়েছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।এই পরিস্থিতি বিশ্ব পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অংশ থেকে অনেকটাই ভারত দখল করে নিতে পারে বলে জোর প্রচারণা চলছে। ভারতীয় বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন যে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের একটা অংশ এখন ভারতমুখী হবে পোশাক ক্রয়ের জন্য। ভারতীয় গণমাধ্যমেও সম্প্রতি এ নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।তবে গত ৪ ও ৫ এপ্রিল বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনে ভারতের এই প্রত্যাশাকে কার্যত নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের শ্রম মান নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সাম্প্রতিক সমালোচনা সত্ত্বেও বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে প্রতিবেশীকে টপকে যেতে ভারতের অনেক দূর যেতে হবে।’এ বছর এপ্রিল মাসে ভারতে তৈরি পোশাক উৎপাদন ৮৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে গত বছরের একই সময়ে এই উৎপাদন ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। এই তথ্য উল্লেখ করে প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাভারে রানা প্লাজা ধসের সঙ্গে এই উৎপাদন বৃদ্ধির যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।এতে আরও বলা হয়েছে, নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এই যোগসূত্র বড্ড বেশি সরলীকৃত। বরং অন্তর্নির্িহত বাড়তি খরচ ও বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা আমাদের উচ্চভাবে গণ্য করার যোগ্য প্রতিবেশীর অনুকূলেই যায়।বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বলছে, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ভবনধস হয়েছে যেখানে, সেখানে কয়েকটি পোশাক কারখানা ছিল। আর বাংলাদেশের বাণিজ্যসুবিধা স্থগিত করার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তটি এসেছে জুন মাসে। আর তাই ভারতের বস্ত্র ও পোশাক খাতের উৎপাদন ও রপ্তানির হালচিত্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিয়ে প্রভাবিত না-ও হতে পারে। তা ছাড়া মার্চ মাস থেকেই ভারতের বস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানিতে উল্লম্ফন শুরু হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে ভারতের তৈরি পোশাক উৎপাদন বেড়েছে ১৫৯ শতাংশ, যেখানে গত বছর মার্চে এটি ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। আবার মার্চ মাসে ভারতের পোশাক রপ্তানি ১২ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ১৩৯ কোটি ডলার, যেটি এপ্রিল মাসে ৮ দশমিক ৫৫ শতাশ বেড়ে হয়েছে ১১৫ কোটি ডলার।বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রানা প্লাজা ধস ও সহস্রাধিক শ্রমিকের প্রাণহানি বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তুলেছে। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বিপজ্জনক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশকে দেওয়া দীর্ঘদিনের বাণিজ্যসুবিধা বিচ্ছিন্ন করেছেন। এর মানে হলো বাংলাদেশ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) কর্মসূচির আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বলছে, এটা বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাককে সরাসরি প্রভাবিত করবে না। কেননা, ১৯৭৬ সালে যখন বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা দিতে এই (জিএসপি) কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়, তখন তৈরি পোশাক খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।আরেক প্রতিবেদনে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি অজয় সাহায়ি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সত্যিই বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে এই শূন্যস্থান পূরণ করবে ভারত। চীন যেহেতু বস্ত্র খাত থেকে ক্রমান্বয়ে সরে আসছে ও ইলেকট্রনিকসের মতো উচ্চমূল্যের পণ্যের দিকে বেশি মনোযোগী হচ্ছে, সেহেতু পোশাক খাতের বিশ্ববাজারে ভারতের সুযোগ বেড়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।অন্যদিকে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির অর্থনীতিবিদ অজয় কুমার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভবনধসের বিষয়টি নিয়ে আমরা অতিমাত্রায় প্রচারণা করছি।’প্রতিবেদন দুটিতে বলা হয়েছে, এলডিসিভুক্ত হওয়ায় এবং পোশাক কারখানার মান উন্নয়নে সরকারের কঠোর প্রয়াসের কারণে উন্নত বিশ্ব বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবে। আবার নিম্ন মজুরি ও উচ্চ ভর্তুকির কারণে বাংলাদেশের পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় ভারতের চেয়ে কম। অন্যদিকে, ভারতে শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে আর বাড়ছে সুদের হার, যা কিনা চলতি মূলধনের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিদ্যুতের খরচও বাড়ছে। এসব কারণে ভারতের পোশাক খাতের পক্ষে বাংলাদেশের বাজার দখল করা বেশ কঠিন হবে বলেই মনে করছে পত্রিকাটি।বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশি পোশাককে প্রবেশের জন্য কোনো শুল্ক দিতে হয় না, যেখানে ভারতের রপ্তানির জন্য গড়ে ৯ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়।এতে বলা হয়েছে, ইইউতে আমদানিকৃত শীর্ষ ১০ বস্ত্র ও পোশাকসামগ্রীর ভারত থেকে যায় মূলত শার্ট, টি-শার্ট, স্যুট ও সুতির বস্ত্র। অন্যদিকে, বাংলাদেশ প্রায় সবগুলো সামগ্রীই ভালোভাবে রপ্তানি করে। আবার ভারত এখনো রপ্তানিতে ওভেন পোশাকের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে বাংলাদেশ ওভেনের পাশাপাশি নিট পোশাকেও ভালো অবস্থান করে নিয়েছে এবং ইইউর মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও নিট পোশাক রপ্তানি করছে।বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে এতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর ছিল বাংলাদেশের অবস্থান, যা কিনা মোট বৈশ্বিক রপ্তানির ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের পরে, যার হিস্যা ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ডাক বিভাগের পোস্টাল ক্যাশ কার্ড ব্যবহার করে অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও কেনাকাটা করার সুবিধাটি চালু হয়েছে। একই সঙ্গে কার্ডের গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠান।ঢাকা জিপিওর দক্ষিণ গেটে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও সোনালী ব্যাংকের কো-ব্র্যান্ডেড এটিএম বুথ উদ্বোধনের মাধ্যমে সেবাটি গতকাল শনিবার দুপুরে চালু হয়েছে। এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন।সেবাটি চালু হওয়ায় বর্তমানে ৬০ হাজার গ্রাহক পোস্টাল ক্যাশ কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন কিংবা কেনাকাটা করার সুবিধা পেতে শুরু করেছেন।জানা যায়, সারা দেশে কিউ ক্যাশ নেটওয়ার্কের ২৬টি ব্যাংকের তিন হাজার এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনে এবং প্রায় আট হাজার বিপণিবিতানের পিওএস মেশিনে কেনাকাটার জন্য কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। আর জেলা, উপজেলাসহ মোট এক হাজার ৩৩২ ডাকঘর থেকে মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করে যে কেউ একটি পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের গ্রাহক হতে পারবেন।তবে মোবাইল ব্যাংকিং চালু হলেও গ্রাহকদের সেবাটি পেতে আরও মাস খানেক সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রয়োজনীয় কিছু কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং বিষয়ে গ্রাহককে জানিয়ে দেবে ডাক বিভাগ। তখন মুঠোফোনেই এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে টাকা স্থানান্তর করার সুবিধা ও ‘ট্রানজেকশন নোটিফিকেশন’ (মুঠোফোন বার্তার মাধ্যমে লেনদেনের তথ্য) পাওয়া যাবে।সেবাগুলো উদ্বোধনের আগে ডাক বিভাগের মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডাক বিভাগের অস্তিত্ব এখন তলানিতে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে টিকে থাকতে হলে আইসিটি নির্ভর হতে হবে। ডিজিটালাইজড করায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ টিকে গেছে। তিনি পোস্টাল ক্যাশ কার্ড চালুকে সনাতন পদ্ধতি থেকে ডাক বিভাগের আধুনিক পদ্ধতিতে উত্তরণের আরেক ধাপ বলে মন্তব্য করেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, দেশের ৭০ ভাগ মানুষ এখনো ব্যাংকিং-সুবিধার আওতার বাইরে। তবে পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের এটিএম-সুবিধা চালু হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের একটি বিরাট গোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় আনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।ডাক বিভাগের মহাপরিচালক নায়েব দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ এইচ এম হাবিবুর রহমান, কিউ ক্যাশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুদ্দিন মুনীর ও ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এস ভন্দ্র।বক্তারা বলেন, সারা দেশে ডাক বিভাগের নয় হাজার ৮৮৬টি ডাকঘর আছে। অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের শাখা প্রায় এক হাজার ২০০। সরকারের এই বড় দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করায় পরিচালন-ব্যয় কম হবে।ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল জাকির হাসান নূর জানালেন, শিগগিরই পোস্টাল ক্যাশ কার্ড দিয়ে মোবাইলে টাকা রিচার্জ, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের বিল পরিশোধের মতো সুবিধা চলে আসবে।জাকির হাসান আরও জানান, ক্যাশ কার্ড দিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান ও একটি প্রকল্পের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি ও শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ‘কন্ডিশনাল ক্যাশ ট্রান্সফার’ পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১৪ হাজার ১২৭ জন অতিদরিদ্র মাকে এই ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হয়েছে।আগামী তিন বছরে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে ডাক বিভাগ সারা দেশে মোট এক হাজার ২০০টি এটিএম বুথ স্থাপন করবে। আর চলতি বছরের মধ্যে হয়ে যাবে ২৫টি এটিএম বুথ। জিপিও ছাড়াও মিরপুর, বনানী ও উত্তরায় ইতিমধ্যে বুথ হয়ে গেছে। ক্যাশ কার্ডের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে আইটি কনসালট্যান্টস লিমিটেড (কিউ ক্যাশ)।
রমজান মাসে কাঁচা মরিচ, বেগুন, শসা, ধনেপাতা ও রসুনের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এসব পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকবে। কাঁচা মরিচসহ পাঁচ পণ্যের এই রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত রমজান মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে।ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সুপারিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আজ রোববার থেকে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই পাঁচ পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকবে।এফসিসিআইয়ের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রমজানের আগে নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য রপ্তানি বন্ধ করতে মন্ত্রণালয়ের কাছে ফেডারেশন সুপারিশ করে। গত বছর একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল ছিল।হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই রাজধানীতে কাঁচা মরিচের দাম ইতিমধ্যে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। আশা করি, রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আজ থেকে দাম কমে আসবে।’এদিকে এফসিসিআই গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। একই সঙ্গে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকদের কাছে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।রাজবাড়ীতে কাঁচা মরিচের দাম তিন গুণ বেড়েছে: প্রথম আলোর রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীতে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেছে।বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার পর্যন্ত প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে বৃহস্পতিবার সকালে দাম বেড়ে ৭০-৭৫ হয়ে যায়। ওই দিন বিকেলেই আরেক দফা দাম বেড়ে ৯০-১০০ টাকা হয়ে যায়। তবে গতকাল শনিবার কাঁচা মরিচের কেজি ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়।পাইকারি বিক্রেতা কুরবান সরদার দাবি করেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক মরিচখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এ জন্য কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এ ছাড়া সামনে রমজান মাস। সব মিলিয়েই দাম বেড়েছে।’অবশ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপপরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এখন স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে আমার জানা মতে, রাজবাড়ীর কোথাও মরিচখেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়নি।’
মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে সারা দেশে এক কোটি ৩২ লাখ গ্রাহকের হিসাব খোলা হয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত শুধু কৃষকের নামে ৯৬ লাখেরও বেশি হিসাব খুলেছে। খবর বাসসের।আবার একই সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাপ্রাপ্তদের জন্য ৩৪ লাখের অধিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নামে খোলা হয়েছে আরও এক লাখ হিসাব। স্বল্প টাকায় খোলা এসব ব্যাংক হিসাবের গ্রাহকেরা জীবনে প্রথমবারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবা পেতে শুরু করেছেন। এই ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তাঁরা দৈনন্দিন ব্যাংকিং লেনদেনের বাইরে সরকারের দেওয়া কৃষি-উপকরণসহ অন্যান্য ভাতা সহজেই তুলতে পারছেন।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ‘কৃষকসহ ব্যাংকিং-সেবাবঞ্চিত সমাজের পিছিয়ে পড়া বিশাল জনগোষ্ঠীকে বিনা মূল্যে আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সাহসী উদ্যোগ নেয়। এতে কৃষকেরা ব্যাপক সাড়া দেন। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় ভাতাপ্রাপ্তরা ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ পাওয়ায় এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং-সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক সেবাভুক্তি সূচকে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এই সূচকে বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কার পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ তৈরি করে দেয়। পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা ও সামাজিক ভাতাপ্রাপ্তদেরও এ সুবিধার আওতায় আনা হয়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দিনাজপুর চেম্বারের এক মতবিনিময় সভায় রমজান মাস উপলক্ষে কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।সভায় মসুর ডাল, বেসন, সয়াবিন তেল, ছোলা প্রভৃতি নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখা এবং ফরমালিনবিহীন ও ভেজালমুক্ত ফলমূল বিক্রি করার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।চেম্বার মিলনায়তনে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম। সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হক, চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন, সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির শাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রমজান মাস এলেই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কৃত্রিম উপায়ে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। যে কারণে ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের খারাপ ধারণা হয়। সে জন্য তিনি ব্যবসায়ী সমাজের সুনাম রক্ষায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ জানান।
বিএসআরএম গ্রুপ সম্প্রতি ঢাকার একটি হোটেলে ডাকটিলিটি ও কাঠামোধস প্রতিরোধবিষয়ক এক সেমিনারের আয়োজন করেছে।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি অধ্যাপক শামিম জেড বসুনিয়া। সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখার আনাম ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালারজিকাল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা গুলশান।সেমিনারে উন্নতমানের ডাকটাইল রডের মাধ্যমে টেকসই ও ভূমিকম্প সহনশীল কাঠামো নির্মাণ এবং কাঠামোধস প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া নির্মাণকাজের জন্য সঠিক রড নির্বাচনের ওপর জোর দেওয়া হয়।সেমিনারে বিএসআরএমের ঢাকা করপোরেট অফিসের প্রধান কাজী আনোয়ার আহমাদ, সহকারী বিপণন মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হাসনাতসহ বিশিষ্ট ডিজাইন প্রকৌশলী, স্থপতি ও ডেভেলপাররা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।
অধ্যায়-৭প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের জন্য প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়-৭ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হলো। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (প্রতিটির জন্য নম্বর থাকবে ১)৬. বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে?উত্তর: ১০ বছরের পর থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে ছেলে ও মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল বলে।৭. কোন মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়?উত্তর: অ্যানোফিলিস স্ত্রী জাতীয় মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়।৮. যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক টিকার নাম কী?উত্তর: যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক টিকার নাম বিসিজি।৯. সোয়াইন ফ্লু রোগের ভাইরাসটির নাম কী?উত্তর: সোয়াইন ফ্লু রোগের ভাইরাসটির নাম এইচ ওয়ান এন ওয়ান (H1N1)।১০. সংক্রামক রোগ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।উত্তর: কিছু রোগ আছে যেগুলো একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়। এসব রোগের জীবাণু রোগীর কফ, থুতু, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় বলে এগুলোকে সংক্রামক রোগ বলে। যেমন: জন্ডিস, সোয়াইন ফ্লু, হাম, পাঁচড়া ইত্যাদি।১১. ডেঙ্গু কীভাবে ছড়ায়?উত্তর: ডেঙ্গু জীবাণুর বাহক এডিস মশা। এটি সাধারণত কোনো ভাঙা দ্রব্যাদি, ফুলের টব, টায়ার ইত্যাদিতে জমে থাকা পানির মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে এবং সকাল ও সন্ধ্যার আগে মানুষকে কামড়ায়। এর ফলে ডেঙ্গু মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। রচনামূলক প্রশ্ন/কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন:(প্রতিটির জন্য নম্বর থাকবে ৫)প্রশ্ন: সংক্রামক রোগ কী? কীভাবে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা যায়—তা উল্লেখ করো।উত্তর: যেসব রোগ একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে সহজেই বিস্তার লাভ করার মাধ্যমে কোনো এলাকায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, সেসব রোগকে সংক্রামক রোগ বলে। যেমন: জন্ডিস, বসন্ত, হাম, পাঁচড়া ইত্যাদি।এসব রোগের জীবাণু রোগীর কফ, থুতু, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। আবার আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এবং খাদ্য, পানি ও বায়ুর মাধ্যমেও ছড়ায়।সংক্রামক রোগের প্রতিরোধের উপায়: নিচে উল্লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা যায়—১. মুখে রুমাল চেপে হাঁচি-কাশি দিতে হবে।২. যেখানে-সেখানে কফ-থুতু না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।৩. নিয়মিত জামা, কাপড়, বিছানার চাদর ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হবে।৪. নিয়মিত দাঁত মাজতে হবে, নখ কাটতে হবে, হাত ধুতে হবে এবং গোসল করতে হবে।৫. পচা-বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।৬. পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।৭. সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।প্রশ্ন: বয়ঃসন্ধিকাল কী? এ সময়ে কী কী পরিবর্তন ঘটে?উত্তর: ছেলে ও মেয়েদের ১০ বছরের পর থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলা হয়। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর বয়স আট থেকে তেরো বছর বয়সের মধ্যে।ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এর চেয়ে আগে বা পরেও বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হতে পারে।বয়ঃসন্ধিকালে সাধারণত ছেলে ও মেয়েদের নিচের পরিবর্তনসমূহ ঘটে থাকে—১. ছেলে ও মেয়েরা দ্রুত লম্বা হয়।২. ছেলে ও মেয়েদের দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়।৩. ছেলেদের ক্ষেত্রে গলার স্বরের পরিবর্তন ঘটে।৪. ছেলে ও মেয়েদের মানসিক আচরণের পরিবর্তন ঘটে।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল প্রধান শিক্ষক, ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা
প্রভাষক, রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা:a:শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য রয়েছে জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের ৫ নম্বর অধ্যায় থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর।প্রশ্ন:ক. যোজক কলা কাকে বলে?খ. সিন্যাপস বলতে কী বোঝায়?গ. N এর গঠন প্রকৃতি বর্ণনা করো।ঘ. P গঠনগত দিক দিয়ে m-এর মতো হলেও কাজ করে N-এর মতো— বিশ্লেষণ করো।উত্তর: ক. মেসোডার্ম নামক ভ্রূণস্তর থেকে উৎপন্ন হয়ে যে কলা দেহের গাঠনিক, যান্ত্রিক ও প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি অন্যান্য কলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এদের পুষ্টি যোগানো, বৃদ্ধি ও বিভেদীকরণে সহায়তা করে তাকে যোজক কলা বলে।উত্তর: খ. সিন্যাপস হলো স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান। অর্থাৎ দুটি নিউরণের সংযোগস্থলে যে ফাঁকা জায়গা থাকে তাই সিন্যাপস।সিন্যাপস ডেনড্রাইট পর্দার খুব নিকটে অবস্থিত স্নায়ুতন্ত্রের প্রান্তে একটি ফোলা নব নিয়ে গঠিত। সিন্যাপটিক নবের সাইটোপ্লাজমের মধ্যে অসংখ্য মাইটোকন্ড্রিয়া ও সিন্যাপটিক ভেসিকল থাকে। সিন্যাপস স্নায়বিক বার্তাসমূহ এক নিউরন থেকে অন্য নিউরনে সঞ্চালন করে এবং স্নায়ু শক্তির ভৌত কাঠামো হিসেবে কাজ করে থাকে।উত্তর: গ. N মসৃণ বা অনৈচ্ছিক পেশি। এ পেশির কোষগুলো মাকু আকৃতির এবং ১৫-২০০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। কোষের চওড়া অংশের ব্যাস ৮-১০ মাইক্রোমিটার। প্রত্যেক কোষে নিউক্লিয়াসের সংখ্যা একটি এবং এটি কোষের চওড়া অংশে অবস্থান করে।কোষের আবরণী বা সারকোলেমা অস্পষ্ট। কোষের সাইটোপ্লাজম বা সারকোপ্লাজমে অসংখ্য অতি সূক্ষ্ম মায়োফাইব্রিল পেশিতন্তুর দৈর্ঘ্য বরাবর বিস্তৃত। মায়োফাইব্রিলে কোনো আড়াআড়ি রেখা দেখা যায় না।উত্তর: ঘ. P হলো হূৎপেশি বা কার্ডিয়াক পেশি। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের হূৎপিণ্ডে যে বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে গঠিত তাকে হূৎপেশি বলে। এ পেশির টিস্যুগুলো অনেকটা m (ঐচ্ছিক পেশি)-এর মতো। তবে P (হূৎপেশি) এর সঙ্গে m (ঐচ্ছিক পেশি)-এর গঠনগত মিল থাকলেও কাজের দিক দিয়ে ভিন্ন প্রকৃতির।অন্যদিকে N (অনৈচ্ছিক পেশি) এর সঙ্গে P (হূৎপেশি)-এর গঠনগত ভিন্নতা থাকলেও কাজের দিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনৈচ্ছিক পেশি প্রধানত প্রাণীদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গাদির সঞ্চালনে অংশ নেয়। যেমন: অন্ত্রের ক্রমসংকোচন। পৌস্টিকনালি, রক্তনালি, শ্বাসনালি, মূত্রথলি, জরায়ু প্রভৃতি অঙ্গের প্রাচীরে অনৈচ্ছিক পেশি পাওয়া যায়। অন্যদিকে হূৎপেশি ভ্রূণীয় দশার একটি বিশেষ পর্যায় থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একটি ছন্দময় গতিতে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে দেহের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ হূৎপেশির কাজ অনেকটা অনৈচ্ছিক পেশির মতো।সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে P (হূদপেশি) দেখতে m (ঐচ্ছিক পেশি)-এর মতো হলেও কাজ করে N (অনৈচ্ছিক পেশি)-এর মতো।
শিক্ষক, ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা:a:প্রিয় জেএসসি পরীক্ষার্থী, শুভেচ্ছা রইল। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্নের ধরন ও নম্বর বিভাজন পরিবর্তন করেছে। পরিবর্তিত প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী এনসিটিবির দেওয়া ইংরেজি ১ম পত্রের নমুনা প্রশ্নের ১ম অংশ আজ ছাপা হলো।English First PaperFull marks: 100,Time: 3 hrs[Answer all the questions. Figures in the margin indicate full marks]Section -A (Reading)Read the test and answer questions 1 and 2Eat garlic and stay healthy. This is the message of a new book named 'Garlic: Nature's Original Remedy', which presents quite a convincing case. Garlic kills many ailments and sometimes more efficiently than commonly used medicines. It may help protect us against heart disease and mild form of diabetes. The book also reports that eating garlic may possibly guard against cancer.However, this is not true that garlic always helps cure. In other words, it does not always work. Although it has some advantages, it may cause a burning feeling in the mouth and stomach and in especially sensitive people with asthma, headaches and depression.There are remedies and recipes for garlic based dishes in the book, but it warns that if your problem is serious, you should see a professional herbalist. If you're worried about the smell, herbs such as parsley can help it to hide it.(Adapted from Widely Read by Samuela Ecstut & Diana Lubleska, Longman Intermediate Reading Skills, 1987)1. Guess the meaning of the following words and choose the correct meaning closest to the text. 5×1=5i) message— a) story b) fact c) information d) nameii) remedies— a) process b) medicines c) list d) solutioniii) ailment— a) Faults b) illness c) medicine d) drugiv) mild— a) very serious b) complex c) not serious d) oldv) warn— a) advice b) discourage c) encourage d) explain2. Answer the following questions: 5×2=10a) What does the book 'Garlic: Nature's Original Remedy' ultimately suggest?b) Which illnesses may garlic cure?c) Is there any possible side effect of eating garlic? If yes, what are those?d) what warning does the book give to the readers?e) what is parsley? why does the writer advice you to use it in dishes (food)Read the following text carefully and answer question 3 and 4.The city with the highest temperature yesterday was Singapore. At noon the temperature in Singapore was 33°C and at midnight the temperature there was 25°C. Tokyo had the second highest temperature. It was only 2°C lower than in Singapore at noon. The temperature in Rome at noon was 30°C, the same as in New York. However, New York's temperature at midnight was one degree lower than Rome's. the noon temperature in Cairo Was 29°C, one degree higher than that in Hong Kong. The temperature at midnight in Paris was 11°C less than that at noon in Paris yesterday. Although Stockholm's temperature at midnight was the same as the temperature at midnight in Paris, its noon temperature was 14°C. The coolest city was London, with a temperature of only 22°C at noon and 13°C at midnight.The cities with the highest temperature had a lot of sunshine throughout the day. It was cloudy and dry at Stockholm, but it rained heavily in both London and Hong Kong.(Adapted from Writing English language Tests 'edited by J.B Heaton, 1989)3. Complete the following table with the information given in the passage. 5×1=54. Read the passage again and write True or False beside the following statements. Give answers for the false statements. 5×1=51. At noon, the temperature at Tokyo is 31°C.2. New York's midnight temperature is as the same as the Rome's.3. Hong Kong's noon temperature was 30°C.4. The noon temperature of Paris was 11°C higher than the midnight temperature.5. It rained heavily at Stockholm.# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া সারা দেশের ২০০ অসচ্ছল ও প্রতিবন্ধী মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে মেডোনা গ্রুপ।গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যেককে আট হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।মেডোনা গ্রুপের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমদ, লেখক-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল ও সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি।
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০১৩’ অনুষ্ঠিত হবে। মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বারকে চেয়ারম্যান এবং পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান শায়ককে সদস্যসচিব করে ৩৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর শান্তিনগরের হোয়াইট হাউসে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, নির্বাহী পরিচালক মিলন কান্তি নাথসহ অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মেলার কার্যক্রম সফল করার জন্য আরও আটটি উপকমিটি গঠন করা হয়।আয়োজকেরা বলছেন, বাংলাদেশে এ ধরনের বইমেলা এই প্রথম অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি প্রায় ৩০ হাজার বইয়ের তালিকা প্রকাশ করে। ‘বাংলাদেশের সৃজনশীল বই ২০১৩’ শীর্ষক এই প্রকাশনায় ১১৮টি সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত বইয়ের নাম, লেখকের নাম, মূল্য, পৃষ্ঠা ও প্রকাশকাল উল্লেখ করা হয়েছে।
Unit-7 : Lesson-6সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিয়ো। নতুন বই এবং নতুন মানবণ্টনের আলোকে ইংরেজি ১ম পত্রের Unit-7-এর Lesson-6 (Love for humanity) নিয়ে আলোচনা করা হলো।5. Read the passage again, Now, write a paragraph based on the information about ‘Mother Teresa’.Use the clues in the list below. Write the information in a logical sequence as it appears in the text. The paragraph should not exceed 70 words.compassion —established —helpless brought —look after —acknowledge Nobel PrizeAnswer : 5.Information transferMother Teresa felt compassion for the sick and the dying people on the streets of Kolkata. She then established a home for these helpless and uncared people. She along with other nuns began to gather the dying people from the streets and brought them to the home. They would Look after them and let them die in a loving and caring environment. She also would try to find jobs for those who would survive. Her work has been acknowledge across the world. She was awarded the Nobel Prize for peace in 1979.6. The following sentences are in wrong order, Write them in correct order.She would bring the destitute from the streets and look after them in Nirmal Hridoy. Moved by the dying and sick people, Mother Teresa founded a home for them. She got many awards including Nobel Peace Prize. The name of the home was Nirmal Hridoy meaning pure heart. Her humanitarian deeds earnedAnswer : 6.Rearrange:Moved by the dying and sick people. Mother Teresa founded a home for them. The name of the home was Nirmal Hridoy meaning pure heart. She would bring the destitute from the streets and look after them in Nirmal Hridoy. Her humanitarian deeds earned international recognition. She got many awards including Nobel peace Prize.7. Read the passage again Now, write the summary of the passage.Answer : 7.Summarizing:Mother Teresa was deeply moved by the presence of the sick and dying destitute on the streets of Kolkata. She founded a home named ‘Nirmal Hridoy’ meaning ‘pure heart’ and brought them there ensuring an environment of love and kindness for them. Her work was recognized throughout the world and she was rewarded a number of awards including Nobel peace Prize. She taught us a good lesson regarding the service to the dying destitute. She died in 1997 but she is ever fresh in our mind through her divine love for humanity.  শিক্ষক (প্রা.), ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ
শিক্ষক, মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা:a:অধ্যায়-৫প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ হিসাববিজ্ঞানের ৫ম অধ্যায়ের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর ছাপা হলো।৮। হিসাব কত প্রকার? ক. ছয় খ. তিন গ. পাঁচ ঘ. চারসঠিক উত্তর: গ. পাঁচ।৯। যে সকল লেনদেন দ্বারা ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে তা কোন হিসাবে লেখা হয়।ক. চলতি খ. স্থায়ী গ. সঞ্চয়ী ঘ. ব্যাংকসঠিক উত্তর: ঘ. ব্যাংক।১০। নগদে, চেকে, কার্ডে, ধারে ও বিলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশে যা কেনা হয় তাকে কী বলে?ক. ক্রয় খ. বিক্রয় গ. ক্রয় ফেরত ঘ. বিক্রয় ফেরতসঠিক উত্তর: ক. ক্রয়।১১। চেয়ার, টেবিল, আলমারি, শোকেজ, ফাইল, কেবিনেট প্রভৃতি কোন হিসাবে লেখা হয়?ক. চেয়ার খ. টেবিল গ. আলমারি ঘ. আসবাবপত্রসঠিক উত্তর: ঘ. আসবাবপত্র।১২। পণ্য ফেরত প্রদান করা হলে তা কোন হিসাবে লেখা হয়।ক. ক্রয় খ. আন্তফেরত গ. ক্রয় ফেরত ঘ. বিক্রয় ফেরতসঠিক উত্তর: গ. ক্রয় ফেরত।১৩। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ ও পরবর্তী সময়ে পরিশোধ হলে তা কোন হিসাবে লেখা হয়?ক. বিনিয়োগ খ. পাওনাদার গ. দেনাদার ঘ. ঋণসঠিক উত্তর: ঘ. ঋণ।১৪। কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ বা অপরিশোধিত হলে তা কোন হিসাবে লেখা হয়?ক. কর্মচারী খ. শ্রমিক গ. বেতন ঘ. মজুরিসঠিক উত্তর: গ. বেতন।১৫। প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজ সম্পাদনের জন্য কাগজ, কালি, পেনসিল, ফাইল কভার, পিন, ক্লিপ প্রভৃতি ক্রয় করা হলে তা কোন হিসাবে লেখা হয়?ক. মনিহারি খ. প্রশাসনিক খরচ গ. অফিস খরচ ঘ. বিক্রয় খরচসঠিক উত্তর: ক. মনিহারি।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
ইংরেজি শিক্ষক, বিএমটিটিআই, গাজীপুর:a:Lesson 12  Birds of Bangladeshপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি ১ম পত্রের Lesson 12 নিয়েআলোচনা করা হলো। A Read the following passage.Bangladesh is a country full of natural resources. We are proud of our soil, forests, flowers, fruits and birds. The country is gifted with plentiful of fauna due to its geographical location. Birds are one of them. Today we will read about a bird known as 'Benebau' in Bangla, and 'Blackheaded Oriole' in English.The Balckheaded Oriole is a bird of the plain land of Bangladesh. Its body and head are of a deep yellow colour; its throat, its tail and some part of its wings are black; its beak is red. It looks like a mayna and is about 25cm in length. It is seen in Bangladesh, India, Srilanka, Mayanmar and some other countries.The Blackheaded Oriole is a very sprightly and restless bird. It never stays at one spot for long. It eats all kinds of worms and insects. Its call is quite sweet and pleasant. The Blackheaded Oriole builds round shaped beautiful nests with dry grass and barks of trees. Both the male and the female bird take part in building their nests. The Blackheaded Oriole lays two to three eggs at a time.1. Choose the best answer:a. The Black headed Oriole is 25 cm —i. long ii. wide iii. high iv. lengthb. 'Fauna' means —i. birds ii. animals of the whole worldiii. animals of a particular area iv. soil, forests and flowersc. "It looks like a Mayna"–Here the word 'like' means —i. similar to ii. such as iii. Jove iv. familiar tod. Benebau lives in the — shaped nest?i. round ii. square iii. triangle iv. ovale. Read the following information.i. Benebau and Black headed Oriole are two different birds.ii. The land of Bangladesh is plain. iii. Black headed Oriole is found in Bangladesh only.Which of the following information is/are true?i. i and iii ii. ii and iii iii. ii iv. iAnswer : 1. a. i b. iii c. i d. i e. iii, ii2. Answer the following question:a. What is the colour of it's body?b. What is meant by natural resources?c. What is known as "Benebau"?d. Why are the Bangladeshi proud of their country?e. Do you like the call of Benebau? Why?Answer : 2.a. It's body is of deep yellow colour.b. Natural resources mean the natural supply of a country, that increases her wealth.c. The 'Black headed Oriole' is known as 'Benebau' in Bangla.d. The Bangladeshi are proud of the natural resources of their country, like soil, forests, flowers, fruits and birds.e. Yes, I like it because it is quite sweet and pleasant.3. Fill in the blanks : Bangladesh is (a) — country. We are proud of our (b) — . Bangladesh is (c) — with variety of wild animals. (d) — is of one of them. One of the (e) — bird is "Benebau". In English it is called (f) —. It (g) — in the plain land. It can be found in some (h) — countries. It builds (i) — to live in and (j) — eggs to breed.Answer : 3.a) resourceful; (b) country; (c) gifted; (d) Bird; (e) common; (f) Black headed Oriole; (g) lives; (h) other; (i) nests; (j) lays.# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে গতকাল শনিবার ‘আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভূমিকা ও অবস্থান’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য দেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন, বাংলাদেশের জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (জিআইজেড) কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আরটুর ভ্যালেনটিন, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোল্লা। সেমিনারে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মতিন ও সুন্দর জীবনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লি উন্নয়ন সহায়ক ফাউন্ডেশনের জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের পরিচালক ফজলে রাব্বি সাদেক। বিজ্ঞপ্তি।
প্রভাষক, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ফেনী:a:বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ অর্থনীতি বিষয়ের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।৩৭৫. ঋণ গ্রহণ ও প্রদান অর্থের কোন ধরনের কাজ?ক. বিনিময়ের মাধ্যমখ. মূল্যের পরিমাপকগ. স্থগিত লেনদেনের মানঘ. সঞ্চয়ের বাহনসঠিক উত্তর: গ।# ‘ক’ একটি ব্যাংক। এই ব্যাংকের কাজ হলো উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করা।৩৭৬. ‘ক’ কোন ধরনের ব্যাংক?ক. বাণিজ্যিক ব্যাংকখ. বিনিময় ব্যাংকগ. সমবায় ব্যাংকঘ. সঞ্চয়ী ব্যাংক।সঠিক উত্তর: ঘ।৩৭৭. মানুষের সকল কর্মপ্রেরণার উৎস কোনটি?ক. চাহিদা খ. অভাবগ. উপযোগ ঘ. জোগানসঠিক উত্তর: খ।৩৭৮. ঠান্ডা শরবত দ্বারা পিপাসা মেটানো হলে তা অভাবের কোন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ?ক. অভাব পরিপূরকখ. অভাব অসীমগ. অভাব পূরণে বিকল্প উপায়ঘ. অনুকরণভিত্তিক অভাবসঠিক উত্তর: গ।৩৭৯. কোনটির ওপর জীবনযাত্রার মান নির্ভর করে?ক. নগরায়ণ খ. শিক্ষার প্রসার গ. কৃষি উন্নয়ন ঘ. মাথাপিছু আয়সঠিক উত্তর: ঘ।# নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং নিচের দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও।মি. কবীর একজন শিল্পপতি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিল্পের শেয়ার ক্রয় করার সুযোগ রয়েছে।৩৮০. মি. কবীরের প্রতিষ্ঠিত শিল্প কোন ধরনের কারবার?ক. এক মালিকানা খ. অংশীদারিগ. যৌথ মূলধনী ঘ. সমবায়সঠিক উত্তর: গ।৩৮১. মি. কবীরের প্রতিষ্ঠিত শিল্পটি—i. কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করেii. শিক্ষা বিস্তারে সহায়কiii. অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়কনিচের কোনটি সঠিক?ক. i. খ. ii. গ. i. ও ii.ঘ. ii. ও iii.সঠিক উত্তর: ক৩৮২. অর্থনীতির প্রধান আলোচ্য বিষয় কোনটি?ক. অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনখ. ব্যবসায়-বাণিজ্য করাগ. সম্পদ প্রাপ্তি ও ব্যবহারঘ. সীমিত সম্পদ দ্বারা অসীম অভাব পূরণের চেষ্টাসঠিক উত্তর: ঘ।৩৮৩. ‘অর্থনীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কার্যাবলি আলোচনা করে’—উক্তিটি কার?ক. আলফ্রেড মার্শালখ. অ্যাডাম স্মিথ গ. লায়নেল রবিনস ঘ. অধ্যাপক ভাইনারসঠিক উত্তর: ক।৩৮৪. বেকারত্ব দূরীকরণে প্রয়োজন—i. ভারী শিল্প স্থাপনii. শ্রম ঘন শিল্প স্থাপনiii. শিক্ষা বিস্তারনিচের কোনটি সঠিক?ক. i.খ. ii. গ. i. ও ii.ঘ. i, ii. ও iii.সঠিক উত্তর: খ।৩৮৫. দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয় কোন কারবারে?ক. এক মালিকানা কারবারেখ. অংশীদারি কারবারেগ. যৌথ মূলধনী কারবারেঘ. রাষ্ট্রীয় কারবারেসঠিক উত্তর: ক।৩৮৫. ম্যালথাসের মতে জনসংখ্যা বাড়ে কোন প্রগতিতে?ক. স্বাভাবিক প্রগতিতেখ. অস্বাভাবিক প্রগতিতেগ. জ্যামিতিক প্রগতিতেঘ. গাণিতিক প্রগতিতেসঠিক উত্তর: গ।৩৮৬. ‘মূলধন উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান’— উক্তিটি করেছেন কে?ক. অ্যাডাম স্মিথখ. আরফ্রেড মার্শালগ. লায়নেল রবিনস ঘ. বম বাওয়ার্কসঠিক উত্তর: ঘ।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর পাঁচ বছর পার করছে। এই সময়ে অ্যাপলের এ স্টোরে এসেছে নানা পরিবর্তন। এখন পর্যন্ত এ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের সংখ্যা পাঁচ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে! এ ছাড়া কয়েক মাস আগেই অ্যাপল নিজেদের অ্যাপ স্টোরে ১০ লাখ অ্যাপ যুক্ত হওয়াকে বিশেষভাবে উদ্যাপন করেছে। ২০০৮ সালের ১০ জুলাই চালু হয় অ্যাপ স্টোর; যদিও এর আগের বছর অ্যাপল বাজারে আনে আইফোন ও আইওএস। আইফোনের ব্যবহার আর বিক্রির পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকে অ্যাপ স্টোরের। অনেক ডেভেলপারও যুক্ত হন এতে অ্যাপ যুক্ত করতে। আর এ স্টোরে অ্যাপ যুক্ত করে ডেভেলপাররাও লাভবান হন বেশি।ডেভেলপারদের আগ্রহ আর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপ স্টোরে বাড়তে থাকে অ্যাপের সংখ্যা। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে অ্যাপল প্রথম ঘোষণা দেয় নিজেদের অ্যাপ স্টোর থেকে ১০ কোটি অ্যাপ ডাউনলোডের মাইলফলকের কথা। এর মাত্র ১৬ দিন পরই আসে ৫০ কোটি অ্যাপ ডাউনলোডের ঘোষণা! অবশেষে সে বছরেই ২৪ এপ্রিল অ্যাপল জানায়, তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে। সে সময়ে ব্যবহারকারীদের যুক্ত করতে অ্যাপল ঘোষণা দেয় ১০০ কোটিতম অ্যাপ ডাউনলোডকারীকে দেওয়া হবে পুরস্কার। এ রীতিতে পরবর্তী সময়েও পুরস্কার দেয় অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর এ অ্যাপ স্টোর পাঁচ হাজার কোটিতম অ্যাপ ডাউনলোডের মাইলফলক অর্জন করে। জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে অ্যাপ স্টোরও। —দ্য টেলিগ্রাফ ও অ্যাপল অবলম্বনে কাজী আলম
রাত আটটা। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের পর বাসায় ফেরেন আজমত উল্লা। ততক্ষণে ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে। আর তাতে একের পর এক নিজের পিছিয়ে পড়ার খবর শুনছেন ১৭ বছর টঙ্গী পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আজমত।আজমতের টঙ্গীর বাসভবনে তখন সাংবাদিকদের ভিড়। সবার কৌতূহলী চোখ ১৪ দল-সমর্থিত প্রার্থীর দিকে। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে সোজা বাসভবনে ঢুকে পড়লেন আজমত। অনেকটা ক্লান্তি আর বিষণ্নতার আভা ফুটে উঠল তাঁর চোখে-মুখে।রাত ১০টায় এ প্রতিবেদক মুঠোফোনে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি আজমতের সঙ্গে। অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের দীর্ঘ লাইন আরও দীর্ঘায়িত হয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির।মেয়র হিসেবে আলোচিত আজমত, ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে যার রাজনৈতিক জীবনের শুরু, ব্যক্তি হিসেবেও ছিলেন সমান জনপ্রিয়। আর সে জনপ্রিয়তায় আকস্মিক ভাটাকে তাই অস্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন এলাকাবাসী। তাঁদের ধারণা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি ব্যর্থতা আর অন্তর্কোন্দল যেমন ধস নামিয়েছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায়, তেমনি আজমতের মতো প্রার্থীদের ভোটেও যেন ভাটা ফেলেছে। ফলে তিলে তিলে গড়া আজমত-দুর্গে ১৮ দল-সমর্থিত মান্নানের হানা এখন অনেকটাই বাস্তব।
ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের সম্মেলন। গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ময়মনসিংহ ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার সাত শতাধিক ফ্রিল্যান্সার অংশ নেয়। এ আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলো বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস)। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুস্তাকিম বিল্লাহ, আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের শিক্ষক আফজালুর রহমানসহ অনেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ও আগ্রহীদের মুক্ত সফটওয়্যার কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহী করাসহ ফ্রিল্যান্সিংয়ের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। এ পর্বে বক্তব্য দেন ইল্যান্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইদুর মামুন খান, বেসিসের সেরা ফ্রিল্যান্সার পুরস্কারপ্রাপ্ত এনায়েত হোসেন, শাওন ভূঁইয়াসহ অনেকে। অনুুষ্ঠানে গত বছর বিডিওএসএন আয়োজিত ফ্রিল্যান্সিং-বিষয়ক সেমিনার থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠা মো. আমান উল্লাহ, মো. শিহাব রহমান, আনিসুর রহমান, সাব্বির আহমেদ ও মো. মনসুর হোসাইন বক্তব্য দেন। এতে তাঁরা নিজেদের বর্তমান ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠাসহ নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। —ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:n:মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে নতুন উদ্যোগ:h:উদ্যোক্তা, সংগীতশিল্পী, সৃজনশীল প্রকাশক ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উদ্ভাবকদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে কাজ করবে আইপি প্লাস ল ক্লিনিক। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরাম (বিসিআইএফ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কপিরাইট বিশেষজ্ঞ মনজুরুর রহমান, বিসিআইএফের চেয়ারম্যান কাজী জাহিন হাসান, প্রধান নির্বাহী এ বি এম হামিদুল মিজবাহসহ অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যাপ্লিকেশন, সফটওয়্যার, ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে কপিরাইট ও আইনি পরামর্শ দেবে আইপি ক্লিনিক। বিস্তারিত জানা যাবে www.bcipf.org/ipplus ঠিকানায়। —বিজ্ঞপ্তি
ঢাকার প্রযুক্তি বাজারে প্রসেসর, মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ইত্যাদির দাম কমেছে। বিক্রেতারা জানান, কেনাবেচা এবং ক্রেতাদের উপস্থিতি খুব ভালো হলেও বিকিকিনি তেমন হচ্ছে না। গতকাল শনিবার পাওয়া বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম নিচে দেওয়া হলো।প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই-৩ ৩.৩০ গিগাহার্টজ (গি.হা.) ৯,৬০০ টাকা; সেলেরন ১.৮ গি.হা. ২,০০০; কোর আই-৫ ৩.২ গি.হা. ১৬,২০০ ও কোর আই-৭ ৩.৪০ গি.হা. ২৬,৫০০ টাকা। পেন্টিয়াম ডুয়াল কোর ২.৮ গি.হা. ৫,২০০ টাকা। মাদারবোর্ড: গিগাবাইট জিএ৪১এমটি-এসটুপি ডিডিআরথ্রি ৫,২০০ টাকা; জি৪১এম কমবো ৫,১০০; এইচ৬১এম ৪,৮০০ ও জিএ-এইচ৭৭ কমবো ১০,৪০০ টাকা। ইন্টেল ডিজি৪১আরকিউ ৪৫০০ ও ডিজি৪১ডব্লিউভি ৫০০০ টাকা। ফক্সকন এইচ৬১ এমএক্সই-কে ৩,৭০০ ও জি-৬১এমএক্সই ৪,৮০০ টাকা। র‌্যাম: ডিডিআর-৩ অ্যাপাসার ২ গিগাবাইট (গি.বা.) ১,৫৫০ টাকা। এডেটা ৪ গি.বা. ২,৪০০ টাকা। ট্রানসেন্ড ২ গি.বা. ১,৬৫০ টাকা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ৫০০ গি.বা. ৪,৬০০ টাকা। হিটাচি ৫০০ গি.বা. ৪,৫০০ ও ১ টেরাবাইট ৬,০০০ টাকা। স্যামসাং ৩২০ গি.বা. ৩,৭০০ টাকা। এলসিডি মনিটর: স্যামসাং ১র্৭র্ স্কয়ার ৯,৬০০ ও ১র্৮র্ ওয়াইড ৮,১০০ টাকা। ফিলিপস ১৮.র্৫র্ ৮,০৫০ টাকা। ডেল ১র্৭র্ ৮,৫০০ টাকা। এলজি ১র্৬র্ ৬,৫০০ ও ২র্০র্ ১০,০০০ টাকা। আসুস ১৮.র্৫র্ ৮,৩০০ টাকা; ২১.র্৫র্ ১৪,০০০ টাকা। এলইডি মনিটর: স্যামসাং ১৮.র্৫র্ ৭,৮০০ ও ২র্৭র্ থ্রিডি ৬২,৫০০ টাকা। গ্রাফিকস কার্ড: গিগাবাইট এইচডি-৬৪৫০ ১ গি.বা. ৪,০০০ টাকা। গিগাবাইট ৫৪৫০ ১ গি.বা. ৩,৪০০ টাকা। আসুস ইএন২১০ ১ গি.বা. ৩,২০০ টাকা। ডিভিডি রাইটার/রি-রাইটার: স্যামসাং ১৬এক্স ১,৭০০ টাকা। আসুস ১৬এক্স ১,৩৫০ টাকা; ২০ এক্স ১,৮০০ টাকা। কেসিং: স্পেস ২,২০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা। ডিলাক্স ২,১০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা। গিগাবাইট ২,১০০ টাকা ও মারকারি ১,৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। মাউস: এফোরটেক ৩০০ থেকে ২,২০০ টাকা। লজিটেক ৪৫০ থেকে ২,৫০০ টাকা। কি-বোর্ড: ২০০ থেকে ২,৮০০ টাকা ও মাল্টিমিডিয়া ৭৫০ টাকা। স্পিকার: মাইক্রোল্যাব (২:১) ১,৫০০ থেকে ২,৬০০ টাকা। ক্রিয়েটিভ এসবিএস (২:১) ৯০০ থেকে ২,১০০ এবং অ্যালটেক ল্যানসিং ১,৪০০ থেকে ৬,০০০ টাকা। পেনড্রাইভ: ট্রানসেন্ড ৪ গি.বা. ৪৫০ টাকা; ৮ গি.বা. ৫৫০ ও ১৬ গি.বা. ১০০০ টাকা। অ্যাপাসার ৪ গি.বা. ৪৮০ ও ৮ গি.বা. ৫০০ টাকা। এডেটা ৪ গি.বা. ৪৫০ ও ১৬ গি.বা. ৯০০ টাকা। ভেরিকো ৪ গি.বা. ৫০০ ও ৮ গি.বা. ৭০০ টাকা। মডেম: মোবিডেটা এজ ১০০ইইউ ২,৬০০ টাকা। সনি এরিকসন জিসি৮৯ ৪,২০০ টাকা। টেকনো টিএম০০৮ ২২০০ টাকা। টিভি কার্ড: এভারমিডিয়া ইন্টারনাল ৩,১০০ টাকা ও এক্সটারনাল ডব্লিউ৭ ৪,৬০০ টাকা। রিয়েলভিউ ১,৬৫০ টাকা। গেডমেই ১,৫০০ টাকা। প্রিন্টার: ক্যানন আইপি-২৭৭২পিক্সমা ৩,০০০ টাকা; এমপি-২৮৭ ৬,২০০ ও এলবিপি-৩৩০০ ১১,৪০০ টাকা। এইচপি ডি-১০০০ ২,৬০০ ও লেজার পি-১১০২ ৮,১০০ টাকা। এপসন এম-১২০০ ৭,২০০ টাকা। ব্রাদার এইচএল ৫৩৪০ডি ১৬,৭০০ টাকা। স্যামসাং এমএল ১৮৬৬ (লেজার) ৬,৬০০ টাকা। বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক: ট্রানসেন্ড ৫০০ গি.বা. ৫,৩০০ টাকা; ৭৫০ গি.বা. ৬,২০০ ও ১ টেরাবাইট ৭,৪০০ টাকা। ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ৫০০ গি.বা. ৫,৫০০ ও ১ টেরাবাইট ৭৪০০ টাকা। ইউপিএস: পাওয়ার টেক ৬৫০ভিএ ২৮০০ টাকা; অ্যাপোলো ৬৫০ভিএ ২৮৫০ ও ১২০০ভিএ ৫,০০০ টাকা। ডিজিটাল এক্স ৬৫০ভিএ ২,৯০০ টাকা; প্রোলিংক ৬৫০ভিএ ২৮০০ ও প্রোলিংক ৬৫০ভিএ ২৮০০ টাকা। —সংগ্রহ: রাহিতুল ইসলামএখানে শুধু যন্ত্রাংশের দাম দেওয়া হয়েছে। পুরো কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে সংযোজন খরচ ও সার্ভিস চার্জ যুক্ত হবে।
ঠিক বিকেল পাঁচটা। বিপুল নেতা-কর্মীর সমাগম। কেন্দ্রীয়, মহানগর ও স্থানীয়—কে নেই সেখানে। গমগম করছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়। তিল ধারণের ঠাঁই নেই।বিকেল সাড়ে পাঁচটা। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। সাংবাদিকদের কাছ থেকে হাসিমুখে ভোটের খোঁজখবর নিলেন। বললেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, উত্সবমুখর পরিবেশে গাজীপুরে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন গণনা চলছে। আজমতের অবস্থা ভালো।’ এ সময় তাঁর সঙ্গে দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।এ সময় তিনটি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে যান গাজীপুরের এম এ মান্নান। তার পরও টিভি সেটের সামনে বসে থেকে ফল দেখতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। সবার মুখে হাসি ছিল। হঠাত্ করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ দেখে চমকে ওঠেন দলের নেতারা।তখন ঘড়িতে সময় ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। এরপর একে একে কার্যালয় ছাড়তে থাকেন তাঁরা। নেতা-কর্মীদের বলতে শোনা যায়, ‘গাজীপুরের জন্য কী করেনি আওয়ামী লীগ। তার পরও কী করে একজন দুর্নীতিবাজ এগিয়ে থাকে!’রাত আটটার দিকে সভানেত্রীর কার্যালয়ের বাইরের সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। দপ্তরে শুধু উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি আর কার্যালয়ের কর্মচারী ছাড়া কেউ নেই। সবাই গম্ভীর। মুখে কোনো কথা নেই।গাজীপুরের ফলাফলের বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় দলের সভাপতিমণ্ডলী, উপদেষ্টা পরিষদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু তাঁদের সবার মুঠোফোন বন্ধ।যে কার্যালয় কখনো রাত ১২টার আগে বন্ধ হয় না, সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয় রাত ১০টায়। নিভিয়ে দেওয়া হয় সব আলো।গাজীপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা তিরোহিত হতেই অন্ধকার নেমে আসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে ৫-০ গোলে হেরেছে। আগামীতে আরও বড় ব্যবধানে হারবে। আজ সোমবার রাতে খুলনার নবনির্বাচিত মেয়র মনিরুজ্জামান ও সেখাকার বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলররা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণ বার বার বলছে, তাদের ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন নেই। কারণ এই সরকার কোনো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। পাঁচ সিটিতে বিএনপির জয় প্রসঙ্গে খালেদা বলেন, নেতা-কর্মীদের ঐক্যের কারণে ফলাফল পক্ষে এসেছে। আগামী দিনে আন্দোলন ও নির্বাচনে এ ঐক্য কাজে লাগাতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রমজানের পর নতুন কর্মসূচি হবে জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, নেতা-কর্মীদের ঐক্য কাজে লাগাতে পারলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানতে সরকার বাধ্য হবে।আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংসদ তোফায়েল আহমেদ গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ বলেছিলেন। এ প্রসঙ্গে খালেদা বলেন, ‘এই গোপালগঞ্জে এই অবস্থা হয়েছে, সেই গোপালগঞ্জে কী হবে?’ সরকারের উদ্দেশে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। জনরায় মেনে নিন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো গত রোববার পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে দেশবাসীর মুদ্রা দোষ ও বদ অভ্যাসের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর খবরে বলা হয়, যত্রতত্র মূত্রত্যাগ ও শহরাঞ্চলে শুয়োর পোষার মতো অভ্যাসের জন্য প্রেসিডেন্ট রাউল দেশবাসীকে তিরস্কার করেন।পার্লামেন্টের ষাণ্মাষিক বৈঠকে রাউল জনগণের মধ্যে নৈতিকতার অবক্ষয়, নাগরিক কর্তব্যবোধের প্রতি অবহেলা এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, শালীনতা ও ভব্যতার অভাবকে গালিগালাজ করেন।পার্লামেন্টে রাউল এ ধরনের বেশকিছু ক্ষতিকর কর্মের তালিকা প্রদান করেন। তাঁর তালিকায় অননুমোদিত গৃহনির্মাণ, বৃক্ষনিধন ও যেখানে-সেখানে পশু জবাই থেকে শুরু করে ঘুষ বিনিময়ের উল্লেখ আছে।প্রেসিডেন্ট রাউল বেশকিছু ‘সামাজিক উচ্ছৃঙ্খলতার’ উদাহরণ টেনে এগুলোর প্রতি ক্ষোভ জানান। এসবের উদাহরণ হিসেবে তিনি পথে-ঘাটে উচ্চস্বরে চিত্কার করে কথা বলা, জনসম্মুখে মদপান, মদ খেয়ে গাড়ি চালানো, পথের পাথে আবর্জনা ফেলা ও পার্কে মূত্রত্যাগের উল্লেখ করেন।৮২ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট তাঁর ভাষণে বলেন, এখনকার তরুণেরা এমন ‘অসভ্য’ ভাষায় কথা বলছে যা তাঁদের দাদারাও করতেন না। তিনি বলেন, ‘যখন আমি এসব ঘটনার দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকাই তখন মনে হয়, বিপ্লবের পর আমরা শিক্ষাদীক্ষায় প্রভূত উন্নতি করলেও নাগরিক সংস্কৃতি ও আচরণের দিক দিয়ে পিছিয়ে আছি। ... আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো, আমাদের সমাজে শিক্ষার বিকাশ হয়েছে, কিন্তু আমরা তেমনটি করে আলোকিত হইনি।’প্রেসিডেন্ট রাউল তাঁর বক্তব্যে আরও যেসব বদ অভ্যাসের তালিকা দিয়েছেন সেগুলোর হলো: দেরিতে কর্মস্থলে পৌঁছানো; পার্কে চিকা মারা এবং পার্ক, স্তম্ভ, ভাস্কর্য, বাগান নষ্ট ও ভাঙচুর করা; এত জোরে গান বাজানো যাতে প্রতিবেশীদের ঘুম হারাম হয়ে যায়; ফোন, বৈদ্যুতিক লাইন, নর্দমা, সাইন ও ট্রাফিক লাইট খোঁচান; পাবলিক বাসে ভাড়া না দেওয়া; স্কুলের নির্ধারিত পোশাক না পরা; ঘুষের বিনিময়ে ছাত্রদের বেশি নম্বর দেওয়া; গর্ভবতী নারী, বুড়ো ব্যক্তি, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের শ্রদ্ধা না করা এবং গাড়ি ও ট্রেন লক্ষ্য করে শিশুদের ঢিল ছোড়া। রাউল বলেন, ‘এতসব ঘটনা আমাদের নাকের ডগায় ঘটছে, কিন্তু আমরা এগুলোর নিন্দা করছি না এবং ঠেকানোর চেষ্টা করছি না।’ তিনি বলেন, ‘একটি সমাজে বাস করার অর্থ হলো ওই সমাজের সভ্যতা-ভব্যতার নিয়মকানুন ঠিকঠিক মেনে চলা ও অন্যের অধিকার নিশ্চিত করা।’সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে উদ্ধৃত করে রাউল বলেন, বাইরের যেকোনো শত্রুর চেয়ে কিউবার সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘুষের চল দেশটির জন্য বড় হুমকি। তিনি বলেন, দেশটির অর্থনীতি ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে যদিও তা দেশের সব পরিবারকে মধ্য আয়ের পরিবারে পরিণত করতে পারেনি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত লা ভিঞ্চি হোটেলে লিফট স্থানান্তরের কাজ করার সময় আক্তারুজ্জামান (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ রাত পৌনে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।আক্তারুজ্জামান পল্লবীর ‘ট্রপিক্যাল ভার্টিক্যাল মুভারস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রকৌশলী ছিলেন। বিভিন্ন মেরামতের কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি লা ভিঞ্চি হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।পুলিশ বলছে, লিফট ছিঁড়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার ব্যাপারে হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত সাড়ে আটটার দিকে আক্তারুজ্জামানকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আক্তারুজ্জামানকে হাসপাতালে নিয়ে যান লা ভিঞ্চি হোটেলের কর্মচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী আমির হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাত পৌনে আটটার দিকে হোটেলের কয়েক তলা ওপরে থাকা লিফটে ঢুকে লিটন, মিজান ও আরমান নামের তিনজন কাজ করছিলেন। আর নিচে কাজ করছিলেন আক্তারুজ্জামান। এ সময় হঠাত্ লিফটটি ওই তিনজনকে নিয়ে দ্রুত নিচে নেমে আক্তারুজ্জামানকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। আহত হন লিফটে থাকা তিনজনও।তাঁদের মধ্যে আহত লিটনকে রাজধানীর ফার্মগেটে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।হোটেলের পরিচালন ব্যবস্থাপক (বিপণন) তাপস ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের বহুতল হোটেলটিতে পাশাপাশি দুটি লিফট রয়েছে। হোটেলে ঢুকেই ডান পাশের লিফটটি তুলনামূলকভাবে পুরোনো। তাই সেখানে নতুন লিফট স্থানান্তরের জন্য বেশ কদিন ধরে ‘ট্রপিক্যাল ভার্টিক্যাল মুভারস’-এর ওই চারজন কাজ করছিলেন।তাপস ঘোষ আরও বলেন, চারজনই হোটেলের কয়েক তলা ওপরে লিফটের ভেতরে কাজ করছিলেন। কী কারণে অস্বাভাবিকভাবে লিফটটি নিচে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কিছুই তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তবে লিফট ছিঁড়েনি।কিন্তু তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, কাজ করার সময় লিফট ছিঁড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলায় লিফটটি পড়ে আরও নিচের দিকে চলে গেছে। কিছুটা দুমড়ানো-মুচড়ানো। লিফটের নিচের অংশে রক্তের ছোপ। তবে লিফট ছিঁড়ে যাওয়ার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।হোটেলের কয়েকজন কর্মকর্তার ধারণা, ভুল কমান্ড দেওয়ায় হয়তো লিফটটি খুব দ্রুত নিচে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্ট্রাইকার ডেভিড ভিয়াকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্সেলোনা। স্পেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা ভিয়ার নতুন ঠিকানা হতে চলেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।আজ সোমবার বার্সার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ভিয়াকে ছাড়ার ব্যাপারে অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বার্সা। এখন বাকি কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।ওয়েবসাইটে বলা হয়, ভিয়াকে বিক্রি বাবদ সর্বোচ্চ ৫১ লাখ ইউরো পেতে পারে বার্সা, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি মৌসুমেই ২১ লাখ ইউরো পাবে বার্সা। ভিয়া যদি আগামী বছর অ্যাটলেটিকোতে থাকেন, তাহলে বার্সা পাবে আরও ২০ লাখ ইউরো। ভিয়া এর পরের বছরটাও থাকলে বাকি ১০ লাখ ইউরো পাবে বার্সা। আর এ সময়ের মধ্যে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যদি ভিয়াকে বিক্রি করে দেয়, তাহলে বিক্রীত অর্থের শতকরা ৫০ ভাগ দিতে হবে বার্সাকে।ওয়েবসাইটে বলা হয়, এ মৌসুমেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে অভিষেক হবে ভিয়ার। আর তা হতে পারে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়েই।২০১০ সালে ভ্যালেন্সিয়া ছেড়ে বার্সায় যোগ দেন ডেভিড ভিয়া। স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে ১১৯টি ম্যাচে অংশ নেন তিনি; গোল করেন ৪৮টি।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর শ্র্রম আইনের সংশোধনী নতুন করে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ কমিটিতে থাকছেন চারজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শ্রমিক ও মালিকসংগঠনের একজন করে প্রতিনিধি। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করে।এর আগে গত ২৭ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার (জিএসপি) সাময়িকভাবে স্থগিত করার পর সরকার শ্রম আইনের সংশোধনীটি আবার যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ কমিটির নাম ঘোষণা করা হলো।প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে থাকছেন শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দীন আহমেদ রাজু, বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইস্রাফিল আলম। এর বাইরে কমিটিতে বাণিজ্যসচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব, পররাষ্ট্রসচিব এবং শ্রমিক ও মালিকসংগঠনের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন।   ১৩ মে মন্ত্রিসভায় খসড়া অনুমোদনের পর থেকে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যজোটসহ (স্কপ) বিভিন্ন শ্রমিকসংগঠন অভিযোগ করে আসছিল, সংশোধনীতে শ্রমিকস্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি। সংশোধনীতে পোশাকশিল্পের কারখানায় ‘পার্টিসিপেটরি কমিটি’কে ট্রেড ইউনিয়নের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরায় শ্রমিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্কপ অন্তত ১৬টি ধারার আরও সংশোধনের দাবি জানায়।গত ৫ জুন শ্রম আইনের সংশোধনী-সম্পর্কিত একটি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। সংশোধনীটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর পর কমিটি তিনটি শুনানির আয়োজন করে। গত ১৩ জুন কমিটি বিল চূড়ান্ত করে। কিন্তু ২৭ জুন জিএসপি স্থগিত হওয়ার পরই সরকার নতুন করে সংশোধনীটি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়।রানা প্লাজা ধসের পর শ্রম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি একটি গণশুনানির আয়োজন করলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা স্পষ্ট ভাষায় শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন। শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে অনিরাপদ কর্মপরিবেশে শ্র্রমিকেরা কাজ করতে না চাইলেও কেউ বাধ্য করতে পারবে না।