content
stringlengths
1
63.8k
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পেয়েছে। এগমন্ট গ্রুপ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম, যারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে।এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হওয়ায় বিএফআইইউ ১৩২টি দেশের এফআইইউর সঙ্গে সিকিউরড ওয়েবসাইটে যুক্ত হবে। আর বিভিন্ন দেশের এফআইইউর কাছ থেকে মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও বিদেশে পাচার করা অর্থের তথ্য পাবে।এতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, বিশ্বের সব দেশের এফআইইউর আন্তর্জাতিক ফোরাম ১৩১ সদস্যের এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ লাভ অনেক দিনের কাঙ্ক্ষিত সুখবর। তিনি বলেন, ‘এই গ্রুপের সদস্যপদ না থাকায় আগে অনেক দেশই এ ধরনের স্পর্শকাতর তথ্য আমাদের সঙ্গে বিনিময় করেনি। তবে আজ হতে এ ধরনের জটিলতার অবসান হবে।’ বাংলাদেশ এই সংগঠনের সদস্যপদ পাওয়ায় এখন এই ফোরামের মোট সদস্যসংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৩২টিতে। আতিউর রহমান জানান, এর আগে গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার সান সিটিতে শুরু হওয়া এগমন্ট গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভায় গ্রুপটির সদস্যভুক্ত সব দেশের সম্মতিতে ৩ জুলাই বাংলাদেশকে এই সদস্যপদ দেওয়া হয়। ৩০ জুন শুরু হওয়া এই সভায় যোগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান এবং বিএফআইইউর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) দেবপ্রসাদ দেবনাথ এখন সেখানে রয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে আতিউর রহমান বলেন, এই সদস্যপদ পাওয়ায় অনেক লাভ হবে। বিশেষ করে এগমন্ট গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদেশের কাছ থেকে স্পর্শকাতর তথ্য আনা যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে কেউ আর সহজে পার পাবে না। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড বাংলাদেশের এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছে। গভর্নর এই দুই দেশকে ধন্যবাদ জানান।বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লাহ মালিক কাজেমী, নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।মাহফুজুর রহমান বিএফআইইউ এবং এগমন্ট গ্রুপের কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কিছু সংশোধনীর প্রয়োজনে সদস্যপদ পেতে বিলম্ব হয়েছে। এ ছাড়া বিএফআইইউ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতেও কিছু সময় লেগেছে।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা গভর্নর আতিউর রহমানের কাছে বেসিক ব্যাংকে বড় ধরনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করেন। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াসহ কয়েকজন সাংসদ বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক খাতে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি-অনিয়মের যে অভিযোগ এনেছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অবশ্য গভর্নর কোনো প্রশ্নেরই জবাব না দিয়ে উঠে যান।পরে আল্লাহ মালিক কাজেমী এ বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্ণয় করা ও ধরা মানি লন্ডারিংয়ের আওতাধীন দায়িত্ব, এটা সঠিক। এগমন্ট গ্রুপ হচ্ছে এলিট ক্লাব, এর সদস্যপদ পাওয়ায় এসব অনিয়ম প্রতিরোধ সহজ হবে। অপরাধের সূত্র পেতে সহজ হবে।
স্কাইপ, গুগল প্লাসের হ্যাংআউট আর ফেসবুকের বদৌলতে এখন ভিডিও চ্যাট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ল্যাপটপ আর নেটবুক কম্পিউটারে তো ওয়েবক্যাম থাকে। ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ভিডিও চ্যাট করার জন্য নির্ভর করতে হয় ওয়েবক্যামের ওপর। বাজারে দেড় হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বেশ কিছু মডেলের ওয়েবক্যাম কিনতে পাওয়া যায়। এমন কিছু ওয়েবক্যামের খোঁজখবর জানাচ্ছেন জাহিদ হোসাইন খানএফোরটেক দেড় হাজার টাকার মধ্যে এফোরটেকের বেশ কিছু ওয়েবক্যাম কিনতে পাওয়া যায়। ৫ মেগাপিক্সেল রেজল্যুশনের পিকে-৭৬০এমজে ওয়েবক্যামের দাম এক হাজার ১০০ টাকা। এক হাজার ২০০ টাকায় কিনতে পাবেন ৫ মেগাপিক্সেলের পিকে-৩৩৩ই, পিকে-৭১০এমজে, ১.৪ মেগাপিক্সেলের পিকে-৭২০এমজে মডেলের ক্যামেরা।লজিটেক ১.৩ মেগাপিক্সেলের সি-১১০ মডেলের ওয়েবক্যামের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা।মার্কারি এক হাজার টাকায় মার্কারি এম১০ ওয়েবক্যাম কিনতে পাবেন। ১০ মেগাপিক্সেলের ট্যাঙ্গো ওয়েবক্যাম কিনতে পাবেন এক হাজার ৪০০ টাকায়।ক্রিয়েটিভ ক্রিয়েটিভ ব্র্যান্ডের সিঙ্ক লাইভ ওয়েবক্যাম কিনতে পাবেন দেড় হাজার টাকায়।জিনিয়াস জিনিয়াস আই-৩১২ মডেলের ক্যামেরায় রয়েছে ১.৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এই ক্যামেরার দাম ৮৫০ টাকা। ১.৩ মেগাপিক্সেলের জিনিয়াস আইস্লিম ১৩২০ মডেলের ওয়েবক্যামের দাম দেড় হাজার টাকা। আইস্লিম ৩১০ মডেলের দাম এক হাজার ৪৫০ টাকা।অন্যান্য ব্র্যান্ডের ওয়েবক্যামএক্সিলেন্ট ব্র্যান্ডের ওয়েবক্যাম কিনতে পাবেন ৮০০ টাকায়। ডিলাক্স ডিএলভি-১৫ ওয়েবক্যামের দাম এক হাজার টাকা। প্রোলিংকের পিসিসি৩২২০ ইজিক্যামের দাম দেড় হাজার টাকা। সানটেকের ১৩০ কে ও ইসি-০৪৩ ওয়েবক্যামের দাম যথাক্রমে এক হাজার টাকা ও এক হাজার ৩০০ টাকা।কেনার সময় খেয়াল রাখুন বেশ কিছু মডেলের ওয়েবক্যামের লেন্স প্লাস্টিকের তৈরি হয়। খেয়াল করে কাচের লেন্সের ওয়েবক্যাম কিনুন। যেনতেন প্রকারের কাপড় বা কাগজ দিয়ে ওয়েবক্যামের লেন্স পরিষ্কার করবেন না। লেন্স ক্লিনার পেপার ও জেল ব্যবহার করুন। ওয়েবক্যাম ইনস্টলের সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ড্রাইভার ইনস্টল করতে হয়। কেনার সময় ড্রাইভার সিডি সংগ্রহ করুন। সাধারণত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওয়েবক্যামে বিভিন্ন মেয়াদে ওয়ারেন্টি সেবা প্রদান করা হয়। কেনার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বুঝে নিন।
এই বিভাগে সমস্যা পাঠানোর ঠিকানাসারাইখানা, প্রজন্ম ডট কমপ্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫।অথবা ই-মেইল: pdotcom@prothom-alo.infoমোবাইল ফোনআমি একটা মোবাইল ফোন কিনতে চাই। আমার বাজেট ১০ হাজার টাকা। নকিয়া আশা এবং স্যামসাং গ্যালাক্সির মধ্যে কোনটা ভালো হবে? নাসরিন নাহার, nasrinnahar426@yahoo.comআপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত ফোন কিনতে চান, তাহলে স্যামসাং ভালো হবে। নকিয়া আশা হলে অন্য অপারেটিং সিস্টেম পাবেন।১৮ হাজার টাকার মধ্যে একটি র্স্মাটফোন কিনতে চাই। কোনটা ভালো হবে? ফাইম, কক্সবাজার।অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং চালিত নানা ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন এখন এই দামের মধ্যে বাজারে পাওয়া যায়। পছন্দসই একটি নিতে পারেন।আমি সিমফোনি এক্সপ্লোর ডব্লিউ-৩৫ মডেলের ফোন ব্যবহার করি, কিন্তু এটা কিছুক্ষণ পর খুব গরম হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে ঠিক করব? নাহিদ justhnahid@gmail.comচার্জারে সমস্যা হলে অথবা চার্জ দেওয়ার পদ্ধতির সমস্যা হলে এমন হতে পারে। আপনি গ্রাহকসেবাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।আমি নকিয়া এন৭৩ ব্যবহার করি। কিন্তু এই ফোনে বাংলা দেখা যায় না। বাংলা দেখার জন্য কী করতে পারি। আতিক ফায়সাল atiqfoisal@gmail.comবাংলা দেখতে চাইলে অপেরা মিনি ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন। অপেরা মিনি ব্রাউজারের মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইটের বাংলা লেখা পড়তে পারবেন।ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনের মধ্যে কোনটা ভালো হবে? মুস্তাফিজ, সিলেট।ট্যাবলেট দিয়ে কথা বলা যাবে না। কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোন দিয়ে। আবার ট্যাবলেট দিয়ে কম্পিউটারের অনেক কাজই করা যাবে।
 একটি স্মার্টফোনের বদলে মডেম বা রাউটার চাই। জোয়আন, নিকেতন,ঢাকা। ফোন: ০১৬৭০৭৩১৮৪৯ একটি অ্যাপল ম্যকবুকের বদলে আইফোন চাই। য়ারাত, বেইলি রোড, ঢাকা। ফোন: ০১৯১২৭২৯২০২অদল-বদল, প্রজন্ম ডট কমপ্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা। অথবা ই-মেইল করুন pdotcom@prothom-alo.info ঠিকানায়।
গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন গ্রামীণ ব্যাংক ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন ২০ জুলাই সরকারের কাছে দাখিল করবে।সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা জানান।ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মামুন উর রশিদ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা জানতে চাইলে মামুন উর রশিদ বলেন, এ মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ রয়েছে। তার মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।২০১২ সালের মে মাসে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন গঠন করে সরকার। নয় মাসের মাথায় গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশন সরকারের কাছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংকের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও গ্রামীণফোন-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।জাতীয় সংসদে সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা করে ড. ইউনূস গত মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে ‘অর্থমন্ত্রী মিথ্যা কথাবার্তা বলেছেন’ বলে দাবি করেন।এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন কোনো মন্তব্য করব না। যথাসময়ে এ ব্যাপারে কথা বলব।’ক্রয় কমিটি: অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটিতে গতকাল ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলাধীন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর গার্ডার সেতু নির্মাণকাজের দর প্রস্তাব দুটি। অন্যগুলো হচ্ছে বিজেএমসির কাছ থেকে ৭৫ লাখ বস্তা কেনা, পল্লী বিদ্যুতায়তন বোর্ডের একটি প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার ৫০টি কাঠের খুঁটি কেনা, গাজীপুরে ২২ বছর মেয়াদি ২০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্যারিফ প্রস্তাব অনুমোদন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের পিপিএ অনুমোদন।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নুরুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পবিত্র রমজান মাসে বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকালই তা সব ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, রমজান মাসে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার অফিস সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে। তবে ব্যাংকের লেনদেন হবে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।কার্যদিবসগুলোয় বেলা একটা ১৫ মিনিট থেকে একটা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে রমজান-পূর্ব সময়ের নিয়মানুযায়ী অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে লেনদেনের কাজ অব্যাহত থাকবে।শুক্র ও শনিবার যথারীতি সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।রমজান মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি রমজানের আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) বিদায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৬৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার মুনাফা অর্জন করেছে। এই মুনাফা আগের ২০১১-১২ অর্থবছরের ১৫২ কোটি টাকার চেয়ে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।আলোচ্য বছরে সংস্থাটি আদায়যোগ্য ৫৪২ কোটি ৭২ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে আদায় করেছে ৪৬০ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৪১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেশি।২০১২-১৩ অর্থবছরে বিএইচবিএফসি মোট ৫৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর এবং এর বিপরীতে ৪৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। এ ক্ষেত্রে আগের ২০১১-১২ অর্থবছরের চেয়ে যথাক্রমে ৪৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ও ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের বছরে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩৬৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও ২৯৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।আলোচ্য অর্থবছর শেষে বিএইচবিএফসির শ্রেণীকৃত ঋণের হার কমে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের বছরে ছিল ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ। এ ছাড়া বর্তমানে এ সংস্থার কোনো প্রভিশন বা সঞ্চিতি ঘাটতি নেই।এদিকে বিএইচবিএফসি বিদায়ী বছরে দায় বাবদ সরকারকে নয় কোটি ৭৬ লাখ টাকা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে।একই বছরে সংস্থাটি ৮০ কোটি ১৪ লাখ টাকার করপোরেট আয়কর দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।
সাভারের রানা প্লাজা ধসের মতো আর কোনো ঘটনা দেখতে চায় না যুক্তরাজ্য। আর সে জন্য প্রাইমার্ক, টেসকো, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, টপশপসসহ ২০টি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে তলব করে ভবিষ্যতে কারখানার দুর্ঘটনা এড়াতে দিকনির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার।যুক্তরাজ্য সরকার চায়, যেসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয় করে, তারা দেশটির কারখানার মান উন্নয়নে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে সরকার দেখতে চায়, দেশটির বাজারে যারা পণ্য সরবরাহ করবে, তাদের যেন নিরাপদ কর্মপরিবেশ থাকে। খবর দ্য গার্ডিয়ান-এর।যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগে (ডিএফআইডি) গত বুধবার ২০ খুচরা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সঙ্গে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা বৈঠক করেন। মূলত ভবিষ্যতে রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা এড়াতে দিকনির্দেশনা দিতেই নির্বাহীদের ডেকে আনা হয়।আন্তর্জাতিক উন্নয়নসচিব জাস্টিন গ্রিনিং বলেন, ‘বৈঠকে দায়িত্বশীল পোশাক উৎপাদন ও বিপণন বিষয়ে খোলামেলা ও কার্যকর আলোচনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের নিরাপত্তার মানোন্নয়ন যে কতটা জরুরি, তা সাভার ট্র্যাজেডি সবাইকে জানিয়ে দিয়ে গেছে।যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের নিরাপত্তাব্যবস্থা উন্নয়নে এক কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে জাস্টিন গ্রিনিং বলেন, ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উন্নয়ন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে অনেক কিছুই করার আছে। সে জন্য খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো সাহায্য করতে পারে।এদিকে ব্রিটিশ সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শ্রম অধিকারসংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লেবার বিহাইন্ড দ্য লেবেল। সংগঠনটির কর্মী আন্না ম্যাকমুলান বলেন, নৈতিক মানোন্নয়নের অঙ্গীকার ছাড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর বাংলাদেশেও সব কারখানা একই মানের নয়। সেখানকার অনেক কারখানারই কাজের পরিবেশ খারাপ, নিরাপত্তার অভাব।
ইউরোপের মতো আমেরিকার ক্রেতারাও বাংলাদেশের পোশাক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে যাচ্ছে। আর সেই চুক্তিতে পোশাকশিল্পের মালিকদের দীর্ঘদিনের দাবি কারখানার জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালার বিষয়ে মতৈক্য হতে পারে।ওয়াশিংটন ডিসিতে গত ২৬ জুন আমেরিকা ও উত্তর আমেরিকার ছোট-বড় প্রায় ২৫টি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বাংলাদেশের সব পোশাক কারখানার জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান।দেশে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শহিদুল্লাহ আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমন্বিত নীতিমালার প্রস্তাবের বিষয়টি উপস্থিত সবাই একমত হন। পরে তা বৈঠকের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ক্রেতার কোড অব কন্ডাক্ট ভিন্ন ভিন্ন। এতে করে পোশাক কারখানার মালিকেরা খুবই সমস্যায় পড়েন। এমনকি শ্রমিকদের নিরাপত্তা কিংবা কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই একটি সমন্বিত নীতিমালা খুবই দরকার।’সমন্বিত নীতিমালার পাশাপাশি বিজিএমইএ অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তার জন্য তহবিল, কারখানা স্থানান্তরে আর্থিক সাহায্য ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের জন্য সহযোগিতার দাবি জানানো হয়। প্রতিটি বিষয়েই আমেরিকার ক্রেতারা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন সমিতির সহসভাপতি।জানা যায়, আমেরিকার গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ‘বাই পার্টিজান’ এই বৈঠকের আয়োজন করে। এতে ক্রেতারা অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তার জন্য সাত কোটি মার্কিন ডলারের একটি তহবিল গঠনে একমত হয়েছেন। তহবিলে ছোট ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বছরে ৬০ থেকে ৭০ হাজার ডলার এবং বড় প্রতিষ্ঠান ১০ লাখ ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।সমিতির নেতারা জানান, ১০ জুলাই চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হবে। তারপর সবার সিদ্ধান্ত নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। আর চুক্তি বাস্তবায়নে নয়জনের একটি দল গঠন করা হবে। এতে বাংলাদেশের সরকার, এনজিও, শ্রমিকসংগঠন ও বিজিএমইএর একজন করে মোট চারজন প্রতিনিধি থাকতে পারেন।
প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর বিচারবুদ্ধির বলি হলেন মোহাম্মদ মুরসি। শেষ পর্যন্ত তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মুরসি জনগণের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন, কাজেই তাঁকে যেতে হবে। এটা কোনো ভালো সমাধান কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বস্তুত দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্টকে যেভাবে এক বছরের মধ্যে বিদায় নিতে হলো, তা বেশ কিছু কঠিন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আগামী কয়েক দিন মিসরবাসী—এবং আগ্রহী পর্যবেক্ষকেরাও—সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজবেন ব্যগ্র হয়ে।‘আরব বসন্তের’ ঝড়ে হোসনি মোবারকের পতন হওয়ার পর থেকে অস্থিরতা ছাড়েনি মিসরকে। সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের মোবারক সমর্থক ও বিরোধী আর ইসলামপন্থীদের দড়ি টানাটানি চলছেই। সর্বশেষ এই সেনা অভ্যুত্থান দেশকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার। মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগের শেষ নেই। সরকার পরিচালনায় অস্বচ্ছতা, প্রশাসনে ব্যাপক দুর্নীতি, ক্ষমতা নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থনৈতিক সংস্কারে মনোযোগ না দিয়ে ধর্মভিত্তিক কর্মসূচিতে বেশি আগ্রহ—এসব অভিযোগ তুলে বিরোধী দলগুলো চাইছিল, মুরসি সরে দাঁড়ান। কিন্তু মুরসি তাঁর আসনে আরও শক্ত হয়ে বসে বলেছেন, ৫১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। তাহরির স্কোয়ারে জড়ো হয়ে দাবি তুললেই তিনি যাবেন না। সরকারে থেকেই দেশের জন্য কাজ করে যাবেন।মুরসি অবশ্য কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে জোর দিয়ে জানান, তিনি তা শুধরে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবেন। ঝেঁটিয়ে দূর করবেন দুর্নীতিও। কিন্তু বিরোধী পক্ষ তা মানতে নারাজ। তারা বলেছে, এর মধ্যে মুরসির ক্ষমতায় আরোহণের এক বছর হয়ে গেছে। এই ১২টি মাসে তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা ছাড়া সরকার পরিচালনায় আশাব্যঞ্জক কিছু দেখাতে পারেননি, কাজেই তাঁকে সময় দেওয়ার কোনো মানে হয় না।এই প্রেক্ষাপটে গত রোববার থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ক্রমে ফুঁসে উঠতে থাকে। মুরসি চরম বেকায়দায় পড়ে যান। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ যোগ দেয় বিরোধী পক্ষের সমর্থনে। বিরোধীদলীয় জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট উদারপন্থী, নিরপেক্ষ ও বামপন্থীদের এক করে ফেলতে সক্ষম হয় এবার। রাজধানী কায়রো, দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর আলেকজান্দ্রিয়াসহ বড় বড় শহরে চলতে থাকে মুরসিবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ। মুরসির সমর্থক ও প্রতিপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।মুরসির ক্ষমতা গ্রহণের পর এক বছরের একটি লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো মিসরীয় সমাজের বিভাজন। সমান না হলেও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে দেশটি। বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে এমনকি পারিবারিক পর্যায়েও। ঘরে ঘরে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এক ভাই মুরসিকে সমর্থন জানাচ্ছে তো আরেক ভাই বিক্ষোভকারীদের পক্ষে। এ নিয়ে বাগিবতণ্ডার জের ধরে ঘরের ভেতরেই বেধে যাচ্ছে তুলকালাম। কথা বলা, এমনকি মুখ দেখা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।গত সোমবার বিরোধীরা জোট বেঁধে মুরসিকে সময় বেঁধে দেয়, মঙ্গলবারের মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে সরকারের চূড়ান্ত পতনের জন্য দুর্বার আন্দোলন শুরু করবে তারা। এর পরই মাঠে নামে সেনাবাহিনী। নিন্দুকেরা জানান, তাঁরা এ রকম সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিলেন। সেনাবাহিনীও সময় বেঁধে দেয় মুরসিকে, যা অমান্য করায় তাঁকে সরে যেতে হয়েছে।মুরসির পতনের মধ্য দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট। মিসরের রাজনীতি থেকে সেনাবাহিনীর ছায়া সহজে সরানোর নয়। আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির জন্য গণতন্ত্রের পথ যতটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি বন্ধুর হবে। মিসরের সেনাবাহিনীর প্রভাব দেশের রন্ধ্রে। তাদের রয়েছে বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সেনাবাহিনীর ব্যবসাপাতি কেউ বলেন জিডিপির ৮, কেউ বলেন ৪০ শতাংশ। সেই স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকে, এমন ব্যবস্থার পক্ষেই পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী।মুরসি ক্ষমতায় আসার প্রাক্কালে তাঁকে হাতের পুতুল বানাতে ফন্দিফিকির কম করেনি সেনাবাহিনী। নিজেদের পছন্দমতো ডিক্রি ও আইন জারি করে সেনাবাহিনীকে কলকাঠি নাড়ার সব ক্ষমতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সেই সময় মুরসির শক্ত অবস্থান আর তাঁর প্রতি জনগণের বিপুল সমর্থনে সে চেষ্টা শেষ পর্যন্ত হালে তেমন পানি পায়নি। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলেন না মুরসি।সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এর মধ্যে একটি ‘রোডম্যাপ’ বা রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের খসড়া হিসেবে এই রোডম্যাপে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা জানান, চলমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীও হাঁপিয়ে উঠেছিল। তারা এখন চায়, শিগগিরই একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে। নিজেদের ক্ষমতায় আসার কোনো ইচ্ছা নেই। তারা চাইছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করতে। সংশোধিত সংবিধান প্রণয়নে যে কয়েক মাস লাগে, এই সরকার তত দিন ক্ষমতায় থাকবে।মুরসি দৃশ্যত শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন। মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ৪৫ মিনিটের ভাষণে তিনি বেশ আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে জানান, জীবন দিয়ে হলেও এ সরকারকে রক্ষা করবেন তিনি। অন্যদিকে, দেশের জন্য জীবন দেওয়ার ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনীও।পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকেরা জানান, স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর গণতন্ত্রের নতুন সূর্য ওঠার যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা আবার এক অন্ধকার সুড়ঙ্গের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এবারের সেনা অভ্যুত্থান ভবিষ্যতের জন্য এক খারাপ নজির সৃষ্টি করল। মিসরে নিযুক্ত এক সাবেক পশ্চিমা রাষ্ট্রদূত জানান, এখন গণবিক্ষোভের দোহাই দিয়ে যে আগামী প্রেসিডেন্টকেও মেয়াদের আগে টেনে নামানো হবে না, তার নিশ্চয়তা কী? আর আজ মিসরে যা ঘটছে, তার পরাঘাত অনুভূত হবে দেশটির সীমানা ছাড়িয়েও বহু দূর পর্যন্ত।
২৮ হাজার নিবন্ধিত ও বিপুলসংখ্যক নতুন উদ্যোক্তাকে নিয়ে আজ শুক্রবার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন শুরু হচ্ছে।টিম ইঞ্জিন লিমিটেড নামের একটি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ন্যাশনাল এন্টারপ্রেনার সামিট’ (নেস) শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ সকাল ১০টায় সম্মেলনটির উদ্বোধন করবেন। বিজ্ঞপ্তি।
শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য রয়েছে জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের ৩ নম্বর অধ্যায় থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর।প্রশ্ন: ক. গ্যামিটোজেনেসিস কাকে বলে?খ. অর্গানোজেনেসিস বলতে কী বোঝায়?গ. চিত্র P-এর গঠন বর্ণনা করো।ঘ. P ও Q সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়া একটি অপরটি থেকে ভিন্ন—বিশ্লেষণ করো।উত্তর: ক. যে প্রক্রিয়ায় প্রাণীদের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু উ ৎপাদিত হয়, তাকে গ্যামিটোজেনেসিস বলে।উত্তর: খ. গ্যাস্ট্রলেশনে সৃষ্ট ভ্রূণীয় স্তরগুলো থেকে ভ্রূণের অঙ্গকুঁড়ি সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অর্গানোজেনেসিস বলে। তিনটি ভ্রূণীয় স্তরেরই অভিন্ন কোষপিণ্ড ছোট ছোট কোষগুচ্ছে বিচ্ছিন্ন হয়। প্রতিটি গুচ্ছ প্রাণীদের নির্দিষ্ট অঙ্গ বা অংশ নির্মাণ করে। এসব কোষগুচ্ছকে একেকটি অঙ্গের কুঁড়ি বলে। যেসব কুঁড়িতে ভ্রূণীয় স্তরের উপবিভক্তি ঘটে, সেগুলোকে প্রাইমারি অঙ্গকুঁড়ি বলে। প্রাইমারি অঙ্গকুঁড়ি আরও বিভক্ত হয়ে সেকেন্ডোরি অঙ্গকুঁড়িতে পরিণত হয়। ওই সব কুঁড়ি থেকে উ ৎপন্ন হয় সেকেন্ডারি অঙ্গ। ওই অবস্থায় ভ্রূণ পূর্ণাঙ্গ প্রাণী বা লাভার দেহাবয়ব লাভ করে।উত্তর: গ. চিত্র P মানুষের শুক্রাণু। একটি শুক্রাণু চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত।যথা— ১. মাথা, ২. গ্রীবা ৩. মধ্যখণ্ড ৪. লেজ।নিচে এসব অংশের বর্ণনা দেওয়া হলো:১. মাথা: মাথা হচ্ছে শুক্রাণুর সামনের অংশ, যা দেখতে স্ফীতকায়, কোনাকৃতি বা লেন্সের মতো। শুক্রাণুর সম্পূর্ণ মাথা একটি পাতলা সাইটোপ্লাজমীয় স্তরে আবৃত থাকে। মাথার সাইটোপ্লাজমের ভেতরে একটি ডিম্বাকৃতির নিউক্লিয়াসকে ঢেকে থাকে অ্যাক্রোসোম। অ্যাক্রোসোম একটি থলি বিশেষ। আক্রোসোমে উপস্থিত এনজাইমগুলো ডিম্বাণু ঝিল্লিকে গলিয়ে শুক্রাণুর প্রবেশ-প্রক্রিয়া সহজ করে দেয়। অ্যাক্রোসোমের ঠিক পেছনেই এবং মাথার বেশির ভাগ অংশজুড়ে থাকে নিউক্লিয়াস।২.গ্রীবা: গ্রীবা হচ্ছে শুক্রাণুর মাথার ঠিক পেছনে মাথা ও মধ্যখণ্ডের মাঝখানে অবস্থিত একটি সরু ও স্বচ্ছ সংযোগস্থল। এখানে পরস্পরের সমকোণে দুটি সেন্ট্রিওল থাকে। সেন্ট্রিওলের একটিকে কাছের এবং অন্যটিকে দূরের সেন্ট্রিওল বলে।৩. মধ্যখণ্ড: সাইটোপ্লাজম, মাইটোকন্ড্রিয়া ও অক্ষীয় সূত্রে গঠিত অংশ হচ্ছে শুক্রাণুর মধ্যখণ্ড। এর মধ্যে মাইটোকন্ড্রিয়ার অংশই বেশি। মাইটোকন্ড্রিয়া প্লাজেলাম সঞ্চালনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। অক্ষীয় সূত্রটি তার চারপাশের সাইটোপ্লাজমীয় আবরণ মিলে মধ্যভাগের কেন্দ্রীয় মজ্জা গঠন করে। এর পেছনের প্রান্তে একটি গাঢ় রিংয়ের মতো গঠনকে রিং সেন্ট্রিওল বলে।৪. লেজ: শুক্রাণুর মধ্যভাগের সাইটোপ্লাজম ও মাইটোকন্ড্রিয়ার সমাপ্তি অংশ থেকে শুরু করে পেছনের সবটুকুই লেজ বা ফ্লাজেলাম। এটি শুক্রাণুর দীর্ঘতম অংশ। ফ্লাজেলাম শুক্রাণুকে গতিশীল করে নিষেকের উদ্দেশ্যে ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।উত্তর: ঘ. চিত্র P একটি শুক্রাণু এবং চিত্র Q একটি ডিম্বাণু। শুক্রাণু সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়াকে স্পার্মাটোজেনেসিস এবং ডিম্বাণু সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়াকে উওজেনেসিস বলে। নিচে স্পার্মাটোজেনেসিস ও উওজেনেসিস সম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনা করা হলো:১. স্পার্মাটোজেনেসিসের সমগ্র প্রক্রিয়া শুক্রাশয়ে সম্পন্ন হয়। আর উওজেনেসিসের প্রাথমিক পর্যায় ডিম্বাশয়ে সম্পন্ন হলেও শেষ পর্যায় ডিম্বাশয়ের বাইরে ঘটে।২. স্পার্মাটোজেনেসিস প্রক্রিয়ার একটি প্রাইমারি স্পার্মাটোসাইট থেকে চারটি সক্রিয় শুক্রাণু সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে উওজেনেসিস প্রক্রিয়ায় একটি প্রাইমারি উওসাইট থেকে একটি সক্রিয় ডিম্বাণু ও তিনটি নিষেকে ভূমিকাহীন পোলার বডি সৃষ্টি হয়।৩. স্পার্মাটোজেনেসিসের সময় স্পার্মাটিডের বেশির ভাগ নিউক্লিওপ্লাজম ও সাইটোপ্লাজাম পরিত্যক্ত হয়। তাই পরিণত শুক্রাণুগুলো ছোট তবে সক্রিয় ও চলাচলে সক্ষম। উওজেনেসিসের ফলে উ ৎপন্ন ডিম্বাণু তুলনামূলকভাবে বড় ও চলাচলে অক্ষম।৪. স্পার্মাটোজেনেসিসের ফলে উ ৎপন্ন শুক্রাণুতে খুব সামান্য পরিমাণ খাদ্য সঞ্চিত থাকে এবং কোনো নির্দিষ্ট পর্দা দ্বারা ঘেরা থাকে না। উওজেনেসিসের মধ্যে সৃষ্ট ডিম্বাণুতে বেশি পরিমাণে খাদ্য সঞ্চিত থাকে এবং নির্দিষ্ট পর্দা দিয়ে ঘেরা থাকে।৫. স্পার্মাটোজেনেসিসে নিজেকে সহায়ক অ্যান্ড্রোগ্যামিক বস্তু ক্ষরিত হয়। পক্ষান্তরে, উওজেনেসিসে নিজেকে সাহায্যকারী গাইনোগ্যামিক বস্তু ক্ষরিত হয়।৬. স্পার্মাটোজেনেসিসে নিষেকের আগেই সক্রিয় বিপাকক্রিয়া সংঘটিত হয়। আর উওজেনেসিসে নিষেকের আগেই বিপাকক্রিয়ার হার স্তিমিত থাকে।সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে P (শুক্রাণু) সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়া এবং Q (ডিম্বাণু) সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়া একটি অপরটি থেকে ভিন্ন। প্রভাষক, রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা
গত ফেব্রুয়ারিতে আগাং নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর জুন মাসে হলো এর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ। বর্ণবাদ যুগের অবসানের প্রায় দুই যুগ পর গঠিত হয়েছে নতুন দলটি। নেলসন ম্যান্ডেলার অসুস্থতা সারা বিশ্বের মনোযোগের প্রায় সবটা জুড়ে থাকায় আগাংয়ের আত্মপ্রকাশ চোখেই পড়েনি প্রায়। কিন্তু দলটি যেভাবে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) ‘মৌরসিপাট্টা’ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাতে অন্তত দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নড়েচড়ে বসছেন।আগাং দলের প্রধান একজন নারী। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী মাফেলা রামফেলে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। আগাং দল আগামী বছরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন এ দল কি যথেষ্ট ভোটার টানতে পারবে? এএনসির বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে কি তারা?খনি কোম্পানিতে কর্মরত কাইসার কাংওয়ানা একসময় এএনসির দারুণ ভক্ত ছিলেন। কিন্তু এখন দলটির কর্মকাণ্ডে বিরক্ত। একসময় দেশবাসীর একচেটিয়া সমর্থন পাওয়া এ দলের নেতাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। কাংওয়ানা বলেন, দেশের অনেক লোকের চাকরি নেই। এখনো বহু মানুষ দরিদ্র। সরকার দরিদ্র মানুষের মাথার ওপর ছাদের ব্যবস্থা করতে পারেনি। পারেনি চাকরি দিতে। এ ধরনের ভোটাররা আগাংয়ের দিকে ঝুঁকতে পারে।আগাং দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্থানীয় ভাষার শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে ‘নির্মাণ করা’। দলটির ঘোষিত প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর দেশ গঠনের জন্য জনগণকে উদ্দীপ্ত করা। যে ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা ও অন্যান্য সংগ্রামী নেতা।দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার আগাং এখনো তার বিস্তারিত নীতি সুস্পষ্ট করে বলেনি। তবে দলের নেতারা যাতে তাঁদের কার্যকলাপের ব্যাপারে জবাবদিহির জন্য তৈরি থাকেন, সরকারি কর্মচারীরা যাঁতে তাঁদের দায়িত্বের প্রতি অনুগত থাকেন, তা নিশ্চিত করা এ দলের অন্যতম লক্ষ্য। এ ছাড়া শিক্ষা থাকবে আগাংয়ের রাজনৈতিক এজেন্ডার শীর্ষে।তবে এতসব ভারিক্কি কথা সত্ত্বেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগাং শেষ পর্যন্ত হয়তো পরিণত হবে ‘ওয়ান উইমেন শো’তে। এমনিতে আগাংয়ের নেতা ডা. রামফেলের ভাবমূর্তি নিষ্কলুষ। ১৯৭০-এর দশকে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একসময় বিশ্বব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিছুদিন ইউনিভার্সিটি অব কেপটাউনের সহ-উপাচার্যও ছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেলেন সুজম্যান ফাউন্ডেশনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অব্রে মাতশিকি বলেন, ‘শুধু নিষ্কলুষ ভাবমূর্তি নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল পরিচালনা করা বেশ দুরূহ। আমাদের দেশে অতীতে এ ধরনের অনেক দল এসেছে। কিন্তু তারা কেউ সাফল্যের মুখ দেখেনি।’মাতশিকি মনে করিয়ে দেন ২০০৮ সালেই কংগ্রেস অব দ্য পিপল (সিওপিই) নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছিল। এএনসি থেকে বেরিয়ে আসা নেতারা এটি গঠন করেন। এএনসি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া অনেক ভোটার তখন সিওপিইকে সমর্থন করেছিল। গত নির্বাচনে দলটি ৭ শতাংশ ভোটও পায়। মধ্যবিত্ত কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের টানতে পেরেছিল দলটি। কিন্তু তার পর থেকেই দলটির নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে কোন্দল। সিওপিইর যাত্রাও থমকে গেছে।তবে ডা. রামফেলে সিওপিইর সঙ্গে তাঁর দলের তুলনা করতে রাজি নন। তিনি বলেন, আগাং অন্যান্য দলের মতো নয়, কারণ কোনো দল থেকে বেরিয়ে আসা লোকজন এটি গঠন করেনি। দলটি তারাই গঠন করেছে যারা কখনো কাউকে ভোট দেয়নি এবং যারা কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিল না।রামফেলে আরও বলেন, তাঁর দলের সদস্যরা বিশ্বাস করে, অতীত নয়, ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে।মাতশিকির মতো রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন, রামফেলের প্রত্যাশামতো সাফল্য পেলে আগাং আগামী বছরের নির্বাচনে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের ভোট পাবে। আর এ ভোটারদের মধ্যে সিওপিইর সমর্থকেরাও থাকবে।দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে এএনসির এখন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আগাং তাদের প্রাধান্য খর্ব করবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। কিন্তু তা করতে চাইলে আগাংয়ের বিপুলসংখ্যক মানুষের সমর্থন প্রয়োজন। ডা. রামফেলে আভাস দিয়েছেন, শহুরে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের টানার জন্য ছোট ছোট দলের সঙ্গে আগাংয়ের জোট বাঁধার সম্ভাবনা আছে। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেটা এত সহজ হবে না। ষাটের কোঠার এ নারীর নতুন প্রজন্মের মন জয় করতে বেশ বেগই পেতে হবে। এ জন্য ডা. রামফেলেকে খুব সতর্কতার সঙ্গেই রাজনৈতিক অংশীদার নির্বাচন করতে হবে। তাঁর সম্ভাব্য সহযোগী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (ডিএ) নাম উঠে আসছে। কারণ, আগাং গঠনের আগে ডিএ রামফেলেকে সমর্থন করেছিল। আগাং নতুন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার ওপর আলোকপাত করছে বলে তাদের নিজেদেরও অবশ্যই জনগণের অনুভূতিকে নাড়া দেওয়ার মতো কিছু করতে হবে। এএনসি এখনো আগাংকে কোনো হুমকি বলে মনে করছে না। অনেক ভোটার এখনো এএনসিকেই ভোট দিতে আগ্রহী। তেমনই একজন সিবুসিসু সেগওয়ানে। জোহানেসবার্গের এই বাসিন্দা বলেন, ‘ডা. রামফেলে নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। কিন্তু আমার ভয় ভোটটা না নষ্ট হয়। এএনসি হচ্ছে একমাত্র দল যাদের সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে।’অনেকের ভাবনাই সেগওয়ানের মতো। এএনসির ‘দুঃশাসনে’ অতিষ্ঠ হয়ে তারা হয়তো রাস্তায় নামবে। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঠিকই এএনসিকে ভোট দেবে।এএনসির সমালোচকেরা বলছেন, সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় দলটির অর্জন বিশাল। কিন্তু এখন এর নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।দক্ষিণ আফ্রিকায় গত মাসেই দুর্নীতিবিরোধী একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। রামফেলের বন্ধুরা তাঁকে আগামী কয়েক মাসে বুঝেশুনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। রোকেয়া রহমান, সূত্র: বিবিসি
Adverb nসুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের English second paper Grammar-এর ওপর দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার প্রত্যাশায় আজ তোমাদের জন্য Grammar item  Adverb-নিয়ে আলোচনা করব। Some other Adverbs :Genitive Adverb : যেসব  Adverb কোনো Possessive noun হতে গঠিত হয় সেগুলোকে Genitive Adverb বলে। যথা- Always (of all ways), once (of one time), twice (of two times) ইতাদি।He always speaks the truth.Once there was an emperor named Nasiruddin.2. Introductory Adverb: কোনো Sentence-এর শুরুতে  here এবং there ব্যহূত হলে তাদের Introductory Adverb বলে।Here is your payment.   There is a post office in our village.3. Prepositional Adverb: যদি Noun বা Adjective-এর পূর্বে Preposition যুক্ত হয়ে Adverb গঠিত হয় তবে তাকে  Prepositional Adverb বলে। A foot (on foot) asleep. The boy felt asleep.Exercise : Self-TestA. Fill in the blanks with suitable adverbs:1) Tasfia went—into the room.2) Tony ate—when he came back.3) The little rabbit hopped—up to me.4) The shopkeeper spoke—to the old lady.5) We laughed—at the antics of the clowns at the circus.6) The door banged—.7) We waited—for our turn to come.8) Rice grows—in Barisal.9) He— plays football.10) A day labour should be paid—.B.1. The river flowed (rapid/rapidly).2. Pinky did her drawing (bad/badly).3. Tony played a (well/good) game.4. Sheila writes (good/well).5. The story was (near/nearly) finished.6. They were shouting (loud/loudly).7.    I am (much/very) tired.8.   He (often/never) comes here.9.   A barking dog(never/seldom) bites.10. Tell me (while/when) he will come.          # পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল সিনিয়র ইংরেজি শিক্ষক, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল, ঢাকা
বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের জন্য আজ দেওয়া হলো বাংলা ২য় পত্র থেকে ধাতু নিয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর।৪৫. বিদেশি ধাতু কোনটি ?ক. ফির্ খ. গমন গ. পড়্ ঘ. নাচ্  উত্তর: ক. ফির্।৪৬. কোনটি মৌলিক ধাতু?ক. করা খ. দেখ্ গ. কাটা ঘ. দোলাউত্তর: খ. দেখ্।৪৭. মৌলিক ধাতু কাকে বলে ?ক. যে ধাতুকে বিশ্লেষণ করা যায় নাখ. যে ধাতু বিদেশি ভাষা থেকে এসেছেগ. যে ধাতু ‘আ’ প্রত্যয়যোগে গঠিত হয়ঘ. যে ধাতু সংস্কৃত থেকে এসেছেউত্তর: ক. যে ধাতুকে বিশ্লেষণ করা যায় না৪৮. মৌলিক ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয়যোগে কোন ধাতু গঠিত হয়?ক. ত ৎসম ধাতু খ. সাধিত ধাতুগ. বিদেশি ধাতু ঘ. সংযোগমূলক ধাতুউত্তর: খ. সাধিত ধাতু।৪৯. মৌলিক ধাতুর পরে প্রেরণার্থে ‘আ’ প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে কী বলে?ক. নাম ধাতু খ. সাধিত ধাতুগ. বিদেশি ধাতু ঘ. প্রযোজক/ণিজন্ত ধাতুউত্তর: ঘ. প্রযোজক/ণিজন্ত ধাতু।৫০. প্রযোজক ধাতুর উদাহরণ কোনটি ?ক. গতি খ. গমন গ. দর্শন ঘ. খাওয়ানোউত্তর: ঘ. খাওয়ানো।৫১. অনুকার শব্দ ‘আ’ প্রত্যয়যোগে ধাতুরূপে ব্যবহূত হলে তাকে কোন ধাতু বলে?ক. নামধাতু খ. প্রযোজক ধাতুগ. ধ্বন্যাত্মক ধাতু ঘ. ণিজন্ত ধাতুউত্তর: গ. ধ্বন্যাত্মক ধাতু।৫২. ‘এখনো সাবধান হও নতুবা আখের খারাপ হবে’—‘হও’ কোন ধাতুর উদাহরণ?ক. মৌলিক ধাতু খ. সাধিত ধাতুগ. বিদেশি ধাতু ঘ. সংযোগমূলক ধাতুউত্তর: ঘ. সংযোগমূলক ধাতু।৫৩. বিশেষ্য, বিশেষণের সঙ্গে কর্, দে ইত্যাদি  ধাতু যুক্ত হয়ে যে নতুন ধাতু হয়, তার নাম কী?ক. মৌলিক ধাতু খ. সাধিত ধাতুগ. বিদেশি ধাতু ঘ. সংযোগমূলক ধাতুউত্তর: ঘ. সংযোগমূলক ধাতু।৫৪. যৌগিক ধাতুর অপর নাম কী?ক. মৌলিক ধাতু খ. সাধিত ধাতুগ. নাম ধাতু ঘ. সংযোগমূলক ধাতুউত্তর: ঘ. সংযোগমূলক ধাতু।৫৫. বাংলা ভাষায় সমস্ত ধাতুকে কয়টি গণে ভাগ করা হয়েছে?ক. ছয়টি খ. আটটি গ. দশটি ঘ. বিশটিউত্তর: ঘ. বিশটি।৫৬. ক্রিয়া বর্তমানে, অতীতে বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হওয়ার সময় নির্দেশকে কী বলে?ক. ক্রিয়ার কাল খ. ভাব গ. কর্ম ঘ. অনুজ্ঞাউত্তর: ক. ক্রিয়ার কাল।৫৭. বাক্যের কোন পদ দিয়ে বিভিন্ন কালের পরিচয় দেওয়া হয়?  ক. বিশেষ্য পদ খ. বিশেষণ পদগ. ক্রিয়া পদ ঘ. সর্বনাম পদউত্তর: গ. ক্রিয়া পদ।৫৮. কোনটি নাম ধাতু?ক. ঘুম+আ খ. নাচ্+আ গ. খেল+এ ঘ. কৃ+আউত্তর: ক. ঘুম+আ৫৯। ‘কর্’ কোন ধাতুর উদাহরণ?ক. সাধিত ধাতু খ. মৌলিক ধাতুগ. যৌগিক ধাতু ঘ. প্রযোজক ধাতুউত্তর: খ. মৌলিক ধাতু। সিনিয়র শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ
এক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন মার্কিন সরকারের। ঘরের শত্রু বিভীষণ সেনাসদস্য ব্র্যাডলি ম্যানিং আর হ্যাকার অ্যারন সোয়ার্জও চুনকালি মাখিয়েছেন ভালোই। এবার এডওয়ার্ড স্নোডেন সর্বনাশের ষোলোকলা পূরণ করতে যাচ্ছেন হয়তো। এবার আর নিছক সন্দেহভাজন জঙ্গির ওপর নির্যাতন বা ‘দখলদারি’ বজায় রাখতে বেসামরিক মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির মতো ‘লঘু পাপ’ নয়, প্রায় গোটা দুনিয়ায়, এমনকি মিত্রদের ওপরও নজরদারির মতো কাজের জবাবদিহি করতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে।শুরুতে স্নোডেন শুধু মার্কিন জনগণ এবং চীন ও হংকংয়ের কম্পিউটার হ্যাকের অভিযোগ তুললেও এবার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কয়েকটি কার্যালয়, জোটের কয়েকটি সদস্য দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে আড়ি পেতেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।এডওয়ার্ড স্নোডেনের দাবি, তিনি অন্য দশজনের মতোই একজন মানুষ। কিন্তু সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর পার্থক্য হলো, তিনি দিনের পর দিন মার্কিন নজরদারি প্রকল্পের কার্যালয়ের মতো স্পর্শকাতর স্থানে বসেছেন। তিনি যে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিতও হয়েছে। ৩০ বছর বয়সী স্নোডেন বিশ্বাস করেন, জবাবদিহি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হলো মুক্ত সমাজের ভিত্তি। এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো লোকের সংখ্যা সমাজে কমই। আর এ জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার মতো মানুষ নিশ্চয়ই আর কম। কিন্তু অন্তত স্নোডেনের মতো ভাবেন এমন মানুষ আরও আছেন; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই। তাঁদের মধ্যে আছেন হ্যাকার অ্যারন সোয়ার্জ ও ইরাক যুদ্ধের মার্কিন সেনা ব্র্যাডলি ম্যানিং। তাঁরা মনে করেন, গোপনীয়তা ও নজরদারি হলো জুলুমবাজির দ্বাররক্ষক।অ্যারন লিখেছিলেন, ‘অন্যায্য আইন দিয়ে কখনোই ন্যায়বিচার হয় না।’ ২০০৮ সালেই তিনি গোপন সব তথ্য প্রকাশের ডাক দিয়েছিলেন। গত জানুয়ারিতে আত্মহত্যা করেন ২৬ বছর বয়সী অ্যারন। তিনি মার্কিন কেন্দ্রীয় আদালতের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ঢুকে লাখ লাখ নথি প্রকাশ করে দেন। এসব নথির প্রতিটি পাতায় ঢুকতে ফি দিতে হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই এ কাজ করেন অ্যারন। পরে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজির তথ্যভান্ডারে ঢুকে বিপুল পরিমাণ নথি ডাউনলোডের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বিচারের মুখোমুখি করতে আদালতে হাজির করার আগেই আত্মহত্যা করেন তিনি।অন্যদিকে, গোপনীয়তাবিরোধী ওয়েবসাইট উইকিলিকসকে লাখ লাখ মার্কিন গোপন নথি সরবরাহ করার অভিযোগে সামরিক আদালতে ম্যানিংয়ের (২৫) বিচার চলছে। ‘আমি জনগণকে তথ্য জানিয়ে দিতে চেয়েছি। কারণ, তথ্য ছাড়া তুমি জানতে পারবে না, সরকার কী করছে,’ ২০১০ সালে এক হ্যাকার বন্ধুর কাছে লিখেছিলেন ম্যানিং। বিভিন্ন সময় এ সেনাসদস্য বলেছেন, বিবেকের তাড়না থেকে গোপন নথি ফাঁস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ২৮ বছর বয়সী কম্পিউটার হ্যাকার জেরেমি হ্যামন্ড নিউইয়র্কে গত ২৮ মে ই-মেইল, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ও একটি বেসরকারি পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। দোষ স্বীকার করার পর তিনি এক ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘আমি এ কাজ করেছি। কারণ, আমি মনে করি, সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দরজা বন্ধ করে কী করছে, তা জানার অধিকার আমার আছে। যা বিশ্বাস করি, তা-ই করেছি আমি।’স্নোডেনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মার্কিন জনগণের অবস্থান কী?টাইম সাময়িকী এ ব্যাপারে সম্প্রতি একটি জরিপ করেছে। জরিপে দেখা গেছে, ৫৩ শতাংশ মার্কিন মনে করেন, স্নোডেনকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। আর ২৮ শতাংশ মনে করেন, তাঁর বিচার করা ঠিক হবে না। তাঁরা মনে করেন, স্নোডেন যেসব তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা জানার অধিকার জনগণের আছে।তবে স্নোডেন বা ম্যানিংয়ের বয়সী (১৮ থেকে ৩৪ বছর) মার্কিন নাগরিকদের বেশির ভাগই মনে করেন, তাঁরা ঠিক কাজই করেছেন। এই বয়সী ব্যক্তিদের ৪৩ শতাংশই মনে করেন, স্নোডেন ঠিক কাজ করেছেন।নজরদারির ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়—এমন বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ৪৩ শতাংশ। ২৮ শতাংশ মনে করেন, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমের মধ্যে একটি ভারসাম্য এনে নজরদারি চালিয়ে যাওয়া দরকার। তবে ২০ শতাংশ মনে করেন, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হলেও সন্ত্রাসবাদ রোধে আরও কার্যকর নজরদারি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।স্নোডেন, ম্যানিং, অ্যারন বা জেরেমি ২০০১ সালে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার সন্ত্রাসবাদী হামলার সময় ছিলেন কিশোর। ওই হামলার পর থেকে বিভিন্নভাবে মার্কিন প্রশাসনের নজরদারি বেড়ে যায় বহুগুণ। এই নজরদারি থেকে যে মার্কিন জনগণও বাদ পড়েনি, তা এখন সবার জানা। বিষয়টি বেশ ভালো করেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন প্রযুক্তির বহুল ব্যবহারকারীরা। এটি স্নোডেন-ম্যানিং প্রজন্মের ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। মাহফুজার রহমান
নেলসন ম্যান্ডেলার গুরুতর অসুস্থতার কারণে বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষের নজর এখন দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। আর বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা ‘মাদিবার’ প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের ভক্তিশ্রদ্ধা আর মমতা—তা লিখে বোঝানো মুশকিল। বর্ণবাদের শিকল ভেঙে কালো মানুষকে ‘মুক্তি’ এনে দেওয়া ৯৪ বছর বয়সী ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। এই পরিস্থিতিতে ম্যান্ডেলার আত্মজীবনী বা তাঁর ওপর লেখা বই, তাঁর পছন্দের শার্ট—এ ধরনের স্মারকের চাহিদা তুঙ্গে। নেলসন ম্যান্ডেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে, বিশেষ করে তাঁর চিরচেনা বাটিক শার্টটি বেচে কুলাতে পারছেন না দোকানিরা।দক্ষিণ আফ্রিকায় মাদিবা শার্ট নামে পরিচিতি পাওয়া বিশেষ শার্টটির স্রষ্টা সোনোওয়াবিলে এনদামাসে। তিনি জানান, ১৬ জুলাই মহান এ নেতার জন্মদিনকে সামনে রেখে ব্যাপকভাবে বেড়েছে চাহিদা। একেকটি শার্টের দাম সাড়ে ৮০০ র‌্যান্ড। বিশেষ করে অনেক প্রতিষ্ঠান কিনছে পাইকারি হারে। তারা চায়, ম্যান্ডেলার জন্মদিনে অফিসে কর্মীদের মাদিবা শার্ট পরাতে। এনদামাসে জানান, বহু লোক তাঁদের ফোন করে বা শোরুমে এসে খোঁজ নিচ্ছে, ম্যান্ডেলার জন্মদিনে পরা বা ব্যবহার করা যায়, এমন বিশেষ কিছু আছে কি না। ম্যান্ডেলার সঙ্গে সামান্য সম্পর্কও আছে, এমন কিছু পেলেও তারা খুশি।সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনদামাসে জানান মাদিবা শার্টের জন্মবৃত্তান্ত। এ কাহিনি অবশ্য আগেও কতবার বলেছেন, তার লেখাজোকা নেই।শোরুমে রংচঙে শার্টটি প্রথম দেখেই মনে ধরে গিয়েছিল ম্যান্ডেলার, স্মরণ করলেন এনদামাসে। সেই থেকে বড় বড় অনুষ্ঠানে ওই শার্ট পরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। এনদামাসে পেয়ে যান আন্তর্জাতিক খ্যাতি। নেলসন ম্যান্ডেলার মাধ্যমে তাঁর নকশা করা শার্ট সারা দুনিয়া ঘুরছে, বিষয়টা ভেবেই খুব রোমাঞ্চিত এ ডিজাইনার। এনদামাসে জানান, তাঁর মনে হতো, তিনি নিজেই যেন ম্যান্ডেলার সফরসঙ্গী হয়ে দেশ-বিদেশ যাচ্ছেন।দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাশন স্রেফ জাঁকালোর চেয়েও বেশি কিছু হবে, এটাই ছিল ডিজাইনার হিসেবে এনদামাসের স্বপ্ন। ম্যান্ডেলার গয়ে ওঠা মাদিবা শার্ট তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ করেছে।নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর জন্য শার্ট বানানোর কথা প্রথম শুনে কী বলেছিলেন, ভেবে এখনো মজা পান এনদামাসে। গর্ব তো হয়ই। মান্ডেলা নাকি বলেছেন, ‘একটা পন্ডো নাকি পোশাক ডিজাইন করে! দেখা যাক সে কী বানিয়েছে আমার জন্য।’পন্ডো হচ্ছে খোসা ভাষায় কথা বলা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জাতিগত গোষ্ঠী। তাদের বসবাস ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের উত্তর উপকূল অঞ্চলে। ম্যান্ডেলার নিজের জন্মও ইস্টার্ন কেপে।এনদামাসে বলেন, ‘এই অসাধারণ মানুষটির বিশাল অবদানের জন্য ধন্যবাদ হিসেবে তাঁর নিজস্ব স্টাইল গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।’ মিজান মল্লিক
বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ অর্থনীতি বিষয়ের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো। ৩৪৭. অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পদ নয়— i. প্রাকৃতিক সম্পদii. মানবিক সম্পদiii. মনুষ্যসৃষ্ট সম্পদনিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. ii গ. iii ঘ. i, ii ও  iiiসঠিক উত্তর: খ।৩৪৮. ‘ভূমির অর্থ হলো সেসব পদার্থ ও শক্তি, যা প্রকৃতি মানুষের সাহায্যের জন্য স্থল, পানি, বায়ু, আলো ও উত্তাপের মাধ্যমে মুক্ত হাতে দান করে’-উক্তিটি করেছেন—ক. স্মিথ খ. রবিনসগ. ভাইনার ঘ. মার্শালসঠিক উত্তর: ঘ।৩৪৯. ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত ছিল?ক. ২.০৩  খ. ২.০৪গ. ২.০৫  ঘ. ২.০৬সঠিক উত্তর: ক।৩৫০. মূলধন গঠনের প্রাথমিক স্তর হচ্ছে— i. আর্থিক সঞ্চয় সৃষ্টিii. আর্থিক সঞ্চয় সংগ্রহiii. সঞ্চয়কে মূলধনে রূপান্তরনিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. ii গ. iii ঘ. i, ii ও iiiসঠিক উত্তর: ক।৩৫১. বাণিজ্যিক ব্যাংক কীভাবে জনগণকে সঞ্চয়ের উ ৎসাহ দেয়?ক. হুন্ডি বাট্টা করেখ. ঋণ দিয়েগ. অর্থ স্থানান্তর করেঘ. সুদ প্রদান করেসঠিক উত্তর: ঘ।৩৫২. কোনটি বিশেষায়িত ব্যাংক?ক. সোনালী ব্যাংক খ. পূবালী ব্যাংক গ. কৃষি ব্যাংক ঘ. বাংলাদেশ ব্যাংকসঠিক উত্তর: গ।# নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং নিচের দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও।হানিফ মিয়া স্থানীয় একটি ব্যাংকে গিয়ে বলল, ঢাকা থেকে আমার ভাই আমার নামে কিছু টাকা পাঠাতে চায়। ব্যাংক কর্মকর্তা তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।৩৫৩. এখানে ব্যাংকের কোন কার্যক্রমের প্রকাশ পায়?ক. অর্থ জমা রাখাখ. ঋণ দান করাগ. অর্থ স্থানান্তর করাঘ. সঞ্চয় বৃদ্ধি করাসঠিক উত্তর: গ।৩৫৪. এ ধরনের কাজ দ্বারা ব্যাংক— i. গ্রাহকদের সঞ্চয় বৃদ্ধি করেii. গ্রাহকদের নিরাপত্তা প্রদান করেiii. গ্রাহকদের উ ৎসাহ প্রদান করেনিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. ii গ. iii ঘ. i, ii ও iiiসঠিক উত্তর: খ।৩৫৫. কোনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ?ক.  অর্থ স্থানান্তর করা  খ. আমানত সংগ্রহ করা  গ. নোট ছাপানো  ঘ. ঋণ দান করাসঠিক উত্তর: গ।৩৫৬. নিচের কোনটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সমপ্রসারণে ভূমিকা রাখে?ক. গ্রামীণব্যাংক খ. কৃষি ব্যাংকগ. সমবায় ব্যাংক ঘ. উত্তরা ব্যাংকসঠিক উত্তর: ঘ।৩৫৭. আমানত কত প্রকার?ক. ২ প্রকার খ. ৩ প্রকার  গ. ৪ প্রকার ঘ. ৫ প্রকারসঠিক উত্তর: খ।৩৫৮. যে মুদ্রা গ্রহণ করতে কাউকে বাধ্য করা যায় না, তাকে কী মুদ্রা বলে?ক. ঐচ্ছিক মুদ্রা খ. বিহিত মুদ্রা    গ. প্রামাণিক মুদ্রা ঘ. প্রতীক মুদ্রাসঠিক উত্তর: ক# রহিম মিয়া এ বছর প্রচুর ধান উ ৎপাদন করেছেন, যা তাঁর খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে অনেক দিনের অভাব পূরণ করবে। কিন্তু এ  ধান দীর্ঘ দিন ঘরে রাখা সম্ভব হবে না ভেবে রহিম তা বিক্রি করে টাকায় রূপান্তর করে রাখলেন।৩৫৯. রহিম মিয়ার এ কার্যক্রম দ্বারা অর্থের কোন কার্যাবলি নির্দেশ করে?ক. বিনিময়ের বাহনখ. মূল্যের পরিমাপকগ. স্থগিত লেনদেনের মানঘ. সঞ্চয়ের বাহনসঠিক উত্তর: ঘ।৩৬০. অর্থ হলো—i. সবচেয়ে তরল সম্পদii. সামাজিক মর্যাদার প্রতীকiii. গতিশীল জীবনক. i খ. ii গ. i ও ii ঘ. ii ও iiiসঠিক উত্তর: গ।৩৬১. বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে কয়টি গ্যাসফিল্ড রয়েছে?ক. ৮টি খ. ১২টিগ. ১৬টি ঘ. ২০টিসঠিক উত্তর: ঘ।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল প্রভাষক, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ফেনী
২৭ জুন মার্কিন সিনেটে আলোচিত অভিবাসন বিল পাস হয়। তুরস্কে অভ্যুত্থান বন্ধের লক্ষ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী আইনের একটি বিতর্কিত অনুচ্ছেদ সংশোধনের উদ্যোগ। ২৮ জুন চীন-ভারত সীমান্ত আলোচনা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে শুরু হয়।৩০ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়েও যুক্তরাষ্ট্র আড়ি পেতেছিল বলে এডওয়ার্ড স্নোডেনের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশে আলোড়ন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে দাবানল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ১৯ জন দমকলকর্মীর মৃত্যু হয়।১ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে প্রথম মুসলিম ‘ফ্রন্টবেঞ্চার’ হিসেবে শপথ নেন বসনীয় বংশোদ্ভূত এড হুসিচ। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হয়েছে।২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অপরাধে ৬৮ জন ইসলামপন্থীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
Unit-7, Lesson-6সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিয়ো। নতুন বই এবং নতুন মানবণ্টনের আলোকে ইংরেজি ১ম পত্রের Unit-7-এর Lesson-6 (Love for humanity) নিয়ে আলোচনা করা হলো। 2. Answer the following questions.a) Why was Mother Teresa moved?b) What was ‘Nirmal Hridoy’?c) Why did Mother Teresa and her fellow nuns gather the dying people off the streets and bring them to ‘Nirmal Hridoy’.d) When did she get the Balzan prize?e) What does the world salute her for?f) Why do you think Mother Teresa won so many awards?g) What does ‘Nirmal Hridoy’ stand for?h) Is ‘Nirmal Hridoy’ a place of purity and peace?i) Why did Mother Teresa want the dying people to feel that they deserve care and love too?j) What have you learnt from Mother Teresa?Answer-2 :a) Mother Teresa was moved because she saw the presence of the sick and dying on the streets of kolkata.b) ‘Nirmal Hridoy’ was the home for the dying destitute which was founded by Mother Teresa.c) Mother Teresa and her fellow nuns gathered the dying people off the streets and brought them to Nirmal Hridoy so that they could get special care before their death.d) She got the Balzan Prize in 1978.e) The world salutes her for her love and compassion for humanity.f) Mother Teresa won so many awards because of her work for humanity.g) ‘Nirmal Hridoy’ stands for pure heart.h) Yes, ‘Nirmal Hridoy’ is a place of purity and peace.i) Mother Teresa wanted the dying people to feel that they deserved care and love too because she believed that all are equal to God.j) We have learnt from Mother Teresa to love humanity and to serve the needy. 3. Fill in each gap with a suitable word of your own based on the information in the text.The (a)—works of Mother Teresa will (b)—be remembered. She was a lover of (c)—. Her service to the poor (d)—earned reputation and (e)—throughout the world. A number of awards (f)—been received by her. Among the awards, the Nobel Prize for peace is (g)—. She died at the (h)—of 87. The world cannot help (i)—her for the humanity she (j)— to the distressed.or,Mother Teresa was shocked to see the sick and dying people (a)—on the street. She then (b)—to do something for these (c)—people. So she established ‘Nirmal Hridoy’ a (d)—for the dying people. She brought these sick people to the home to (e)—care and give (f)—The whole world has (g)—her work. She has worked to (h)—peace in society and (i)—this she has been (j)—the Nobel Prize for peace.Answer-3 :(a) humanitarian (b) always (c) mankind (d) people (e) people (e) recognition(f) had (g) remarkable (h) age (h) age(i) saluting (j) showedor, (a) lying (b) decided (c) helpless(d) home (e) take (f) shelter(g) recognized (h) promote (i) awarded.  শিক্ষক (প্রা.), ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা # পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেছেন, চীনের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক মধুর চেয়ে মিষ্টি। প্রথম বিদেশ সফরে বেইজিং গিয়ে নওয়াজ গতকাল শুক্রবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ দেওয়া অভ্যর্থনার প্রশংসা করে নওয়াজ বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক হিমালয়ের চেয়েও উঁচু, গভীরতম সাগরের চেয়েও গভীর এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি।’এর আগে গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন নওয়াজ। লি ও নওয়াজের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর স্থাপনের লক্ষ্যে ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা’ ছাড়াও প্রযুক্তি, পোলিও প্রতিরোধ ও সৌরশক্তির ব্যবহারসংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) ও নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এনের মধ্যেও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি হয়েছে।চীন-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত ফাইবার অপটিক কেব্ল বসানোর জন্য চার কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়েও দুই দেশ সম্মত হয়। এ ছাড়া কয়েক বছরের মধ্যে বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এক হাজার ২০০ কোটি থেকে দেড় হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার বিষয়েও মতৈক্য হয়েছে। এএফপি।
আজ শনিবার দেশের চারটি স্থানে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে তিনটির সম্পূর্ণ এবং একটির আংশিক ফল পাওয়া গেছে। এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা হেরেছেন।নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভা এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভায় আজ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হন। এর মাত্র ২২ দিনের মাথায়ও পরিস্থিতি একই। তবে সান্ত্বনা, আজ আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।গাজীপুরগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯৯টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে।বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৮২০ ভোট আর দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ৬১ হাজার ২৩৩ ভোট। এম এ মান্নান ২৭ হাজার ৫৮৭ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের নবগঠিত আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী (চশমা) পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট। আড়াইহাজারে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী পারভীন আক্তার দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬৯ ভোট।অন্যদিকে, গোপালদী পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হালিম সিকদার আনারস প্রতীক নিয়ে নয় হাজার ৯০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল বাশার কাসু পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৭ ভোট। তাঁর প্রতীক ছিল কাপ-পিরিচ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৪ হাজার ৫২১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।আজ শনিবার রাত ১০টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া খান তাঁদের বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।বিজয়ী মেয়র প্রার্থীর সমর্থকেরা ফলাফল ঘোষণার পর উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাঁরা আনন্দমিছিল বের করেন।নোয়াখালীনোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মোতাহের হোসেন মানিক টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সোনাইমুড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি।নির্বাচনে মোতাহের হোসেন পেয়েছেন চার হাজার ৫২১ ভোট। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মো. নুরুল হক তিন হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়েছেন।(প্রতিবেদন তৈরি করতে সহায়তা করেছেন আসিফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী অফিস ও গাজীপুর প্রতিনিধি)
দিনভর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, প্রধান দুই দলের ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয় থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন কমিশনে দৌড়ঝাঁপের পরও বিশিষ্টজনেরা বলছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা প্রথম আলো ডটকমকে বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, নির্বাচন ভালো হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের অনুশীলন নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠুভাবে কাজ করার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেছেন, ‘নির্বাচনের ফল বিপক্ষে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে এই অভিযোগগুলো আসে। এটা এক ধরনের কৌশল। না জিতলে বলা হয় নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে।’প্রসঙ্গত, বিএনপি নয়াপল্টনে নিজস্ব কার্যালয়ে বসে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তিন দফা সংবাদ সম্মেলন ভোট গ্রহণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ৮০ ভাগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। বেলা তিনটার দিকে সাংসদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগের উত্তর দেয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে।সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই অভিযোগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করলেও জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেছেন, এটি এক ধরনের কৌশল। এটা এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। এর ফলে শাসক দলকে চাপে রাখা গেছে। বিরোধী দল ভালোভাবে ‘হোমওয়ার্ক’ করেছিল। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলটি এই কৌশল নিয়েছিল। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আষাঢ় মাসে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকায় ভোটাররা ভোট দিতে গেছেন। দুই দলের মধ্যে টান টান উত্তেজনা ছিল, ছোটো খাটো বিরোধ থেকে বড় কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু মোটা দাগে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রধান নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে, এই চাপানউতোরের কারণে তাঁর মতে ভোট কম পড়েছে। জয় নিশ্চিত করতে নির্বাচন সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়। তবে এসব কর্মকাণ্ডের একটা চাপ ভোটারদের ওপরও পড়েছে। শতকরা ৬০ ভাগ ভোট পড়াটা বাংলাদেশের কোনো স্থানীয় নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট নয়। এমন অনেক ভোটার আছেন যাঁরা এ ধরনের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের কারণে ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হন না।
null
পবিত্র রমজান মাসে কাঁচামরিচ, রসুন, বেগুন, শসা ও ধনেপাতার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এসব পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকবে।ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সুপারিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রপ্তানি বন্ধের এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় এবং প্রজ্ঞাপন জারি হয়। আগামীকাল রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। বহাল থাকবে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত।এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, রমজানের আগে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। সে জন্য রপ্তানি বন্ধ করতে মন্ত্রণালয়ের কাছে ফেডারেশন সুপারিশ করে। গত বছর একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল ছিল।হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই রাজধানীতে কাঁচামরিচের দাম এর মধ্যে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। আশা করি, রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আজ থেকে দাম কমে আসবে।’ এদিকে এফবিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। একই সঙ্গে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকদের কাছে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। রাজবাড়ীতে কাঁচামরিচের দাম তিনগুণ বেড়েছে‘প্রথম আলো’র রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীতে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাত্ করে কাঁচামরিচের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে।বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার পর্যন্ত প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে বৃহস্পতিবার সকালে দাম বেড়ে ৭০-৭৫ টাকা হয়ে যায়। ওই দিন বিকেলেই আরেক দফা দাম বেড়ে ৯০-১০০ টাকা হয়ে যায়। তবে আজ শনিবার কাঁচামরিচের কেজি ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়।রাজবাড়ী শহরের কাজীকান্দা এলাকার বাসিন্দা আশফিকুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার বাজার থেকে ৪০ টাকা দরে কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। আজ দাম নেওয়া হচ্ছে ১৩০ টাকা।’রাজবাড়ী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফরিদ মোল্লা বলেন, ‘দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় আগের চেয়ে বেশি দরে মরিচ কিনতে হচ্ছে।’ পাইকারি বিক্রেতা কুরবান সরদার দাবি করেন, ‘টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে অনেক মরিচখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এজন্য কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এ ছাড়া সামনে রমজান মাস। সব মিলিয়েই দাম বেড়েছে।’   অবশ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এখন স্বাভাবিক বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমার জানা মতে, রাজবাড়ীর কোথাও মরিচখেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়নি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, গাজীপুর নির্বাচনের ফল ছিনতাই করা হলে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন, তাঁরা (বিএনপি) আশা করছেন, আওয়ামী লীগ ভোট ছিনতাই করে আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত নেবে না।আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে বিএনপির একটি সংসদীয় দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, ভোট ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এম কে আনোয়ার বলেন, যেসব অভিযোগ-অনিয়মের কথা কমিশনকে তাঁরা বলেছেন, সে বিষয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্বাচন কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে। তিনি বলেন, ‘অনেক আগে ভোট শেষ হওয়ার পরও কেন ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে, সেটা আমরা কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছি। তারা বলেছে, ভোট গণনা চলছে। দ্রুতই ফল প্রকাশ করা হবে।’এর আগে দুপুরে এম কে আনোয়ার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। তখন তিনি বিভিন্ন দাবি জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা (কমিশন) কিছু কিছু দাবি পূরণ করেছে।বর্তমানে কোনো এলাকায় সহিংসতার খবর আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর এসেছে, টঙ্গির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ভিড় রয়েছে, তারা রাস্তায় ভাঙচুর করছে। তারা যদি এটা করে, তাহলে এর প্রভাব সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তার দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। কারণ তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।’আনোয়ারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা আমাদের কাছে ফল প্রকাশে কেন বিলম্ব হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন। অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের দাবি-দাওয়া আমরা বিবেচনায় রেখেছি, তবে তাঁদের অনেক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।’এম কে আনোয়ারের সঙ্গে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বরকত উল্লাহ বুলু, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী (এ্যানি) প্রমুখ।
স্টেফি গ্রাফের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছিল জার্মানির সাবিনা লিসিকিকে। প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে জার্মানদের উইম্বলডন হতাশা ঘোচানোরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী লিসিকি। কিন্তু চূড়ান্ত লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসতে পারলেন না এই জার্মান তারকা। ফাইনালে ৬-১, ৬-৪ গেমের সহজ জয় দিয়ে প্রথমবারের মতো উইম্বলডন শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন মারিওন বারতোলি।১৯৯৯ সালে গ্রাফের হাত ধরে শেষবারের মতো উইম্বলডন শিরোপাটি গিয়েছিল জার্মানিতে। এবার জার্মানির ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু অল ইংল্যান্ড ক্লাবে আজ উড়ল ফ্রান্সের পতাকা। শেষ হাসিটা হাসলেন ফরাসি তারকা বারতোলি। সাত বছর পর আবারও কোনো ফরাসি খেলোয়াড়ের হাতে উঠল উইম্বলডনের শিরোপা। ২০০৬ সালে শেষবারের মতো উইম্বলডন জিতেছিলেন ফ্রান্সের অ্যামেলি মরেসমো।প্রথম সেটে ৬-১ ব্যবধানে হারের পর আর খেলায় ফিরতে পারেননি লিসিকি। দ্বিতীয় সেটের প্রথমদিকেও আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন বারতোলি। এগিয়ে গিয়েছিলেন ৫-১ গেমে। এরপর লড়াইয়ে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালান লিসিকি। একসময় স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৫-৩। কিন্তু এরপর লিসিকিকে আর কোনো সুযোগ দেননি বারতোলি। ৬-৪ গেমের জয় দিয়ে তিনিই হেসেছেন শেষ হাসিটা।২০০০ সালে পেশাদারি টেনিসে পা রেখেছিলেন উইম্বলডনের নতুন রানি বারতোলি। ২০০৭ সালের সেমিফাইনালে জাস্টিন হেনিনকে হারিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনাল পর্যন্ত। কিন্তু সেবার ভেনাস উইলিয়ামসের কাছে হেরে হতাশ হতে হয়েছিল বারতোলিকে।— রয়টার্স
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মোতাহের হোসেন মানিক টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সোনাইমুড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি।নির্বাচনে মোতাহের হোসেন পেয়েছেন চার হাজার ৫২১ ভোট। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মো. নুরুল হক তিন হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়েছেন।সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা বেগম মোতাহের হোসেনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।জানতে চাইলে হাসিনা বেগম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, কোনো ধরনের সংঘাত ছাড়াই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তাঁরা তথ্যপ্রমাণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যেতে পারেন। এর আগের নির্বাচনগুলোতে কারচুপির কোনো অভিযোগ মিডিয়ায় আসেনি। আমাদের মিডিয়া এখন বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে।’ আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের জিমনেসিয়ামে আয়োজিত তিন দিনের ঈদ ই-বাণিজ্য মেলা এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময়ে তিনি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের জন্য আলাদা ওয়েজবোর্ড গড়ার প্রক্রিয়ার কথাও জানান। এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনু বলেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ বানাব। তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ হলে এ দেশের ছেলেমেয়েরা বিশ্বের বুকে নতুন নতুন চাকরি পাবে। দেশকে উন্নত করবে। এ লক্ষ্যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সরকার ২৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। দুই বছরের মধ্যে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে কম্পিউটার শেখার আওতায় আনা হবে।’অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো, আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, এস আলম গ্রুপের বিপণন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।‘ঘরে বসে কেনাকাটার উত্সব’—স্লোগানে গত বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়। এর আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, এ সরকার অনেকগুলো উন্নয়ন কাজের মধ্যে দুটি বিপ্লবাত্মক কাজ করেছে। এর একটি হলো কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচয় ঘটানো। অপরটি হলো ৪০ বছর পরে যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের ব্যবস্থা করা। এ দুটি কাজের জন্য সরকার চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।তথ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এখন চারটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি—দারিদ্র্য উচ্ছেদ, পরিবেশের বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশকে বাঁচানোর যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ থেকে দেশকে বাঁচানোর যুদ্ধ এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার যুদ্ধ। এসব যুদ্ধে জয়ী হতে হলে সবাইকে একসঙ্গে পাশাপাশি থেকে লড়তে হবে।’বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের কঠিন সাজা চায়। অথচ খালেদা জিয়া এবং জামায়াতে ইসলাম এদের পক্ষ নিয়েছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় আমবাগ কোনাবাড়ি এলাকায় একটি কেন্দ্রের কাছে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশের লাঠিপেটায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত লোকজনকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমবাগ প্রভাতী প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুলে ওই এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবু সাইদের কর্মীরা সিংহ প্রতীক নিয়ে এবং আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খলিলুর রহমানের পক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পৃথক দুটি মিছিল বের করে। এ সময় দুই পক্ষের মিছিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।এ ব্যাপারে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আক্কাস আলী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ওই দুই প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীরা একটি মিছিল বের করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃদু লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. মাসুদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, কেন্দ্রের অনেক বাইরে মিছিল বের হলে পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ভোটকেন্দ্রের কোনো সমস্যা হয়নি।
ডিয়েগো সিনাগ্রাকে মনে আছে? ডিয়েগো ম্যারাডোনার সন্তান। যে সন্তানকে স্বীকৃতি দিতেই রাজি হননি ম্যারাডোনা। ব্যাপারটা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এবার তাঁর আরেক পুত্রকে নিয়েও মামলা-মোকদ্দমা হচ্ছে। এবার অবশ্য মামলাটা ম্যারাডোনা নিজেই করেছেন। সাবেক প্রেমিকা ফার্নান্দো ওজেদা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চার মাস বয়সী পুত্র ডিয়েগো ফার্নান্দোর ছবি টুইটারে পোস্ট করায় মামলাটি করেছেন ম্যারাডোনা।গত ফেব্রুয়ারিতে ওজেদা জন্ম দেন ডিয়েগো ফার্নান্দোর। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমের খবর, এই সন্তান কিছুতেই চাচ্ছিলেন না ম্যারাডোনা। এ কারণেই ওজেদার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি। এরই মধ্যে নতুন প্রেমিকাও জুটে গেছে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির। ২২ বছর বয়সী সেই প্রেমিকার নাম রোসিও ওলিভা।ওজেদার জন্ম দেওয়া সন্তানের পিতৃত্ব শেষ পর্যন্ত মেনে নিলেও ছেলেকে জনসমক্ষে আনার ব্যাপারে আপত্তি ছিল ম্যারাডোনার। এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছেলের ছবি প্রকাশ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন আর্জেন্টাইন আদালত। ছেলের ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আর মর্যাদা’ রক্ষা করার জন্যই এমনটা করেছিলেন বলে গত মাসে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু সম্প্রতি সেই শর্তটিই ভঙ্গ করেছেন ওজেদা। টুইটারে পোস্ট করেছেন ছেলের ছবি। এর জন্য ইতিমধ্যেই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে ওজেদাকে। ম্যারাডোনার আইনজীবী মাটিয়াস মোরলা বলেছেন, ‘ওজেদা কোর্টের আদেশ ভঙ্গ করেছেন। অবাধ্য আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।’পিতৃত্ব নিয়ে ঝামেলাটা অবশ্য নতুন কিছু না ম্যারাডোনার জন্য। নাপোলিতে খেলার সময় ইতালির এক তরুণী ক্রিস্টিনা সিনাগ্রার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। তাঁদের প্রেমের ফসল হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন সিনাগ্রা। ২৬ বছর বয়সী সিনাগ্রাও এখন ফুটবল খেলেন। ইতালির অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে অভিষেকও হয়েছিল ম্যারাডোনাপুত্রের। নিয়মিত খেলেন ইতালির বিচ ফুটবলে। সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ম্যারাডোনাকে উপহার দিয়েছেন দুটো কন্যা—দালমা ও জিয়ান্নিনা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, উত্সবমুখর পরিবেশে গাজীপুরে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন গণনা চলছে।’ তিনি বলেন, জনগণ যে রায় দেবে সেটা জয়ী ও পরাজিত দুজনই মেনে নেবেন এবং সরকারকে সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।’আওয়ামী লীগের নেতা তাঁর বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগের জবাব দেন।আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হানিফ এসব কথা বলেন।নির্বাচনে কালোটাকা ছড়ানো হচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, জামায়াত-বিএনপির দুজন নেতা সেখানে কালোটাকাসহ ধরা পড়েছেন। কালোটাকার মালিক বিএনপির নেত্রী। তাঁরাই কালো টাকা ছড়াতে পারেন। সরকার ফল পাল্টানোর চেষ্টা করছে—বিরোধী দলের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে ভোট জালিয়াতি বিএনপি করেছে, আওয়ামী লীগ করেনি। ফল পাল্টানোর অভ্যাস তাঁদেরই আছে।বিএনপি পরিকল্পিতভাবে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছে, অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বসে ঘণ্টায় ঘণ্টায় সংবাদ সম্মেলনে করে তাঁরা লাগাতার মিথ্যাচার  করছে। বিএনপি যেন একটি মিথ্যাচারের স্কুল খুলেছে। এর শিক্ষকতার দায়িত্ব নিয়েছেন মির্জা ফখরুল।’ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করে কমিশন সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, বিএনপির নেতা রহুল কবির রিজভীর এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘সংবিধানটা ভালো করে পড়ে দেখবেন।’ তিনি বলেন, বিএনপি একদিকে সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে আবার অন্যদিকে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করছে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক  বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকেরা গণমনস্তাত্ত্বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আজ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রানা প্লাজা ধসের পর অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিকেরা মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে পারছেন না। এর ফলে তাঁরা গণমনস্তাত্ত্বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দূষিত পানি বা খাবার খেলে শ্রমিকদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কথা। তাঁরা মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, চোখে ঝাপসা দেখা, অস্থিরতা, খিঁচুনি ইত্যাদি উপসর্গের কথা বলছেন।সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা এবং ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মাহমুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ঢাকার কাছে আশুলিয়ার জামগড়ায় পানি পান করে শত শত শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার পর আমরা চারটি কারখানার পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করি। বলা হয়েছিল, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। কিন্তু আমরা তেমন কিছু খুঁজে পাইনি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘রোজ ড্রেসেসের যে খাবার খেয়ে শ্রমিকরা অসুস্থ হন, তার কিছু নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেখানেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।’  কোনো কারখানায় গণমনস্তাত্ত্বিক অসুস্থতা দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের টেকনাফে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযানের পর অবৈধ লেনদেনের ছবি তোলার কারণে সাংবাদিকদের গালাগাল করে ‘প্রথম আলো’র টেকনাফ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিনের ক্যামেরা কেড়ে নিয়েছে পুলিশ।আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানান, আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের ট্রাফিক পুলিশ টেকনাফে নিবন্ধনবিহীন মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানা থেকে টাকার বিনিময়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ছেড়ে দেওয়ার সময় ছবি তোলেন ‘প্রথম আলো’র টেকনাফ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকেরা ট্রাফিক সার্জেন্ট অমিতাভকে কয়টি মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা নেই।’ তাঁর পুরো নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘নাম দিয়ে কাম কী?’ এ সময় কনস্টেবল সৌরভ বড়ুয়া ও কনস্টেবল মো. ইউনুছ ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও ‘প্রথম আলো’র টেকনাফ প্রতিনিধির সনি ডিএসসি-এইচ ৫০ ক্যামেরাটি কেড়ে নেন।এ ব্যাপারে সার্জেন্ট অমিতাভের কাছে অভিযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ক্যামেরা কি আমি নিয়েছি?’ঘটনার ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার আজাদ মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে মহাজোটের প্রার্থী দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবেন। এখন মহাজোটকেই চিন্তা করে নিতে হবে, তাঁরা পরাজয় বরণ করবেন, নাকি মৃত্যুবরণ করবেন। নির্বাচনে কারচুপি করলে সরকারের হঠাত্ পতন হবে।  আজ শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। দুদিনের ব্যক্তিগত সফরে গতকাল শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ যান তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয়ভাবেই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু নির্বাচন জাতীয় রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগে এক হাজার বছর অপেক্ষা করলেও নেতৃত্ব পেতাম না। এখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শেখ হাসিনার হাতে। এরপর যাবে তাঁর সন্তানের হাতে, তারপর যাবে তাঁর সন্তানের হাতে। বিএনপিতেও একই অবস্থা।’ দেশের সংবিধানকে‘অসুস্থ’ উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সংবিধানে বিসমিল্লাহ স্থাপনের প্রয়োজন ছিল না। এখন সেটা প্রতিস্থাপনেরও প্রয়োজন নেই।’ অনুরূপভাবে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম প্রতিস্থাপনেরও প্রয়োজন ছিল না বলে মন্তব্য করেন তিনি। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীর বিচার করা ঠিক আছে, কিন্তু পরেরগুলো পোলাপান।’
ফেসবুকের সিটি ভিল, ফার্ম ভিলের মতো জনপ্রিয় গেমস তৈরি করলেও বেশ কিছুদিন ধরে আর্থিক টানাপোড়েনের সময় পার করছে বিশ্বখ্যাত গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিংগা। কঠিন এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সম্প্রতি নতুন সিইও নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পদটির জন্য পাঁচ কোটি ডলারের বিনিময়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন মাইক্রোসফটের ডন ম্যাট্রিক। এ ছাড়া বছরে ১০ লাখ ডলার বেতনও পাবেন তিনি। গত সপ্তাহে জিংগার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, প্রতিষ্ঠানটির সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক পিনকাসের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন ডন ম্যাট্রিক। তবে নতুন সিইও নিয়োগ দিতে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার বিষয়টি গোপনই রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ডন ম্যাট্রিক। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’।   জিংগার সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে মাইক্রোসফটের গেমিং ডিভিশনের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন ডন ম্যাট্রিক। মাইক্রোসফট ছেড়ে না যাওয়ার জন্য তাঁকে বড় অঙ্কের অর্থ প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাইক্রোসফটের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ঠিকই জিংগায় যোগ দিলেন ডন ম্যাট্রিক।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ জনগণের রায় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের। কিছুক্ষণ আগে নির্বাচন কমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘গাজীপুরের সাধারণ মানুষ তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা জন রায় রায় মেনে নিন। সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার ঐতিহ্য ধরে রাখুন।’ কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ আরও বলেছেন, ভোটের পর গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো সতর্ক অবস্থায় আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে তিনি সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচন চলার সময় যেসব অভিযোগ উঠেছিল সেগুলো খতিয়ে দেখা হয়েছে। যেখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দিনভর সংবাদমাধ্যমগুলোয় নির্বাচন সম্পর্কে তথ্য প্রচার করায় তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। এর আগে আজ বেলা তিনটার দিকে বিএনপির নেতা এম কে আনোয়ার, বরকত উল্লা বুলু ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি) নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান। প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই সিল মেরেছেন। ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন নারী একাই ৩৬টি ভোট দিয়েছেন।এম কে আনোয়ার বলেন, ফল বদলানোর কোনো অবকাশ নেই। তবে সরকার তার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফল যদি বদলানো হয়, তা হলে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর দায় সরকার ও ইসিকে নিতে হবে।
ইরাকের ৯২ বছর বয়সী এক কৃষক বয়সে তাঁর চেয়ে ৭০ বছরের ছোট এক নারীকে গত বৃহস্পতিবার বিয়ে করেছেন। এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, মুসালি মোহাম্মদ আল-মুজামাই জানান, নিজের দুই নাতির সঙ্গে একই দিনে বিয়ে করতে পারায় তিনি মহাখুশি। তিন বছর আগে মুসালির প্রথম স্ত্রী ৫৮ বছর বয়সে মারা যান। বিবাহিত জীবনে তাঁদের সংসারে আসে ১৬টি সন্তান। বৃহস্পতিবার তিনি ২২ বছর বয়সী মুনা মুখলাফ আল জুবুরিকে বিয়ে করেন। ইরাকের সামারা শহরের পাশে গুব্বান গ্রামের মুসালি বলেন, ‘নাতিদের সঙ্গে একই দিনে বিয়ে করতে পারায় আমি খুবই আনন্দিত। মনে হচ্ছে আমার বয়স মাত্র ২০ বছর।’ মুসালি বলেন, বিভিন্ন কারণে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী তাঁর দুই নাতির বিয়ে বারবার পেছাচ্ছিল। অথচ তিনি চাইছিলেন একই দিনে বিয়ে করতে। তাই একসময় তিনি নিজের বিয়েই পিছিয়ে দেন। চার ঘণ্টা ধরে চলা বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ ও গানের আয়োজন ছিল। এ ছাড়া গুলি ফুটিয়ে উল্লাসও করা হয়। বিয়েতে স্থানীয় গোষ্ঠীপ্রধানরা ছাড়াও ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, জয়ের পথে রয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান।বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৩৯১ কেন্দ্রের মধ্যে তাদের কাছে ২০৩টি কেন্দ্রের ফল রয়েছে।এতে তাদের প্রার্থী এম এ মান্নান পেয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ১২৭ ভোট।দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৯৪ ভোট।টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে এম এ মান্নান ৭৭ হাজার ৭৩৩ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।অন্যদিকে, ১২৮ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে দেখা গেছে, বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৭ ভোট।দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ৮০ হাজার ৬০৭ ভোট।শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে গেলেও আনারস প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৪৭৯ ভোট।গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়াম মিলনায়তনে এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান ফল ঘোষণা করছেন।বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিলনায়তনে উপস্থিত আছেন।তবে মিলনায়তনে উপস্থিত নেই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান।আজ সকাল আটটার দিকে গাজীপুরের ৩৯২ কেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়। উত্সবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ভোট গ্রহণ। এখন ভোট গণনা চলছে। সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৯ জন।নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল থেকে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উত্সাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে বেশি। ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছেসকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। নির্বাচন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিশনের সচিব মোহাম্মদ সাদিক জানিয়েছিলেন, ওই সময় পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল।বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিকেল চারটা পর্যন্ত ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।’ রায় অবনত মস্তকে মেনে নেব: আজমত‘জয়-পরাজয় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নির্ধারণ করেন। তবে একটি কথা আছে, ভয়েস অব দ্য পিপল ইজ ভয়েস অব দ্য গড। জনগণের রায় আমি অবনত মস্তকে মেনে নেব।’আজ সকালে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন আজমত উল্লা খান। টঙ্গীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে ভোট দেন তিনি। ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের আজমত উল্লা বলেন, ‘উত্সবমুখর পরিবেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছে—বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের এমন অভিযোগের জবাবে আজমত উল্লা অভিযোগ করেন, ‘এটা ওঁনার (মান্নান) অভ্যাস। তিনি সব সময় নেতিবাচক কথা বলেন।’আজমত উল্লা আরও অভিযোগ করেন, ‘তাঁর (মান্নান) দুর্নীতির কথা গাজীপুরের জনগণ ঘরে ঘরে জেনে গেছে। এ কারণে উনি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁর এত দুর্নীতি ছিল যে, একানব্বইয়ের পর থেকে জনগণ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’জনগণ কেন তাঁকে ভোট দেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লা বলেন, ‘আমি জনগণকে ভালোবাসি। জনগণও আমাকে ভালোবাসে। এ কারণে তাঁরা আমাকে ভোট দেবে।’ নেতা-কর্মীদের আটক ভালো ইঙ্গিত নয়: মান্নানমেয়র পদপ্রার্থী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সরকার-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে আটক করা হচ্ছে। এগুলো কোনো ভালো ইঙ্গিত নয়।’আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সালনার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এম এ মান্নান এ কথা বলেন। ওই কেন্দ্রে তিনি ভোট দিয়েছেন। মান্নান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার পথে এগুলো বাধা বলে তিনি মনে করছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ফল যা-ই হোক, তা মেনে নেবেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মান্নান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন। যাকে সমর্থন দিয়েছি, সে-ই জয়ী হবে: জাহাঙ্গীরগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘আমি যাকে সমর্থন দিয়েছি, সে-ই নির্বাচনে জয়ী হবে বলে বিশ্বাস করি।’আজ বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ ভালো। আবহাওয়াও ভালো। আশা করছি, অনেক বেশি ভোট পড়বে।’ব্যালট পেপারে নাম থাকলেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জনগণের উন্নয়নের জন্যই ভোট। আশা করি, সত্, যোগ্য ও দক্ষ লোক নির্বাচিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তার পক্ষে কাজ করতে আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি।’ ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু—আ.লীগ ও বিএনপির মন্তব্যভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকেরা জানিয়েছেন ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে।এক প্রতিক্রিয়ায় আজমত উল্লা খান বলেন, ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে।ভোট গ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এম এ মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর নির্বাচনের প্রচারসঙ্গী মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘উনি ব্যস্ত আছেন।’ নির্বাচন কেমন হয়েছে, জানতে চাইলে এম এ মান্নানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে। যদি ভোট গণনা ঠিক হয়, তাহলে তাঁরা (বিএনপি) জয়ী হবেন। তিনি বলেন, তাঁদের একটি অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কী অভিযোগ, তা তিনি বলেননি।অভিযোগ সম্পর্কে রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, ভোট গ্রহণের শেষ পর্যন্ত তিনি কোনো অভিযোগ পাননি।টঙ্গী সার্কেলের ঊর্ধ্বতন সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ভোট গ্রহণ চলাকালে একটি অভিযোগও তাঁরা পাননি। সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার ঐতিহ্য ধরে রাখুন: সিইসিপ্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ জনগণের রায় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের। ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘গাজীপুরের সাধারণ মানুষ তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা জন রায় রায় মেনে নিন। সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার ঐতিহ্য ধরে রাখুন।’প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচন চলার সময় যেসব অভিযোগ উঠেছিল সেগুলো খতিয়ে দেখা হয়েছে। যেখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দিনভর সংবাদমাধ্যমগুলোয় নির্বাচন সম্পর্কে তথ্য প্রচার করায় তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।এর আগে আজ বেলা তিনটার দিকে বিএনপির নেতা এম কে আনোয়ার, বরকত উল্লা বুলু ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি) নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান। প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই সিল মেরেছেন। ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন নারী একাই ৩৬টি ভোট দিয়েছেন।এম কে আনোয়ার বলেন, ফল বদলানোর কোনো অবকাশ নেই। তবে সরকার তার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফল যদি বদলানো হয়, তা হলে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর দায় সরকার ও ইসিকে নিতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’ নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মওদুদ আহমদ বলেন, ভোটের ক্ষেত্রে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, বিষয়টি ঠেকানোর ক্ষমতা সরকারের নেই। গাজীপুর নির্বাচনে কারচুপি হলে জনগণই তার জবাব দেবে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক উন্মুক্ত পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদ চত্বরে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকের ওপর চালানো নির্যাতন দিবস এবং প্রশ্নবিদ্ধ আগামী জাতীয় নির্বাচন ও আজকের প্রেক্ষাপট শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক পরিষদের সভাপতি রমীজ উদ্দিন। মওদুদ আহমদ বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের তুলনা করলে হবে না। তিনি বলেন, আগের সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব না। পৃথিবীর আর কোথাও এ ধরনের নির্বাচন করার নজির নেই, এটি সংবিধানসম্মত না। তাই এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। মওদুদ আহমদ প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকার প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেয়নি। তার পরও এ সফরকে রাষ্ট্রীয় সফর বলা হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, তিনি তাঁর নিজের খরচে সফরে গিয়েছেন, তাহলে আর বলার কিছু নেই।’ বক্তব্যর একপর্যায়ে মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘এসব কথা বললে সরকার আবার মামলা দিয়ে দিতে পারে।’আলোচনা সভার প্রধান আলোচক যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকের ওপর সরকারের চালানো নির্যাতন একটি প্রতীক মাত্র। এ ধরনের হাজার ঘটনা রয়েছে। তিনি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া এবং জুলুম নির্যাতনের পথ পরিহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকেরা। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে বলে তাঁরা জানান। এক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে। ভোট গ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর নির্বাচনের প্রচারসঙ্গী মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘উনি ব্যস্ত আছেন।’ নির্বাচন কেমন হয়েছে, জানতে চাইলে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে। যদি ভোট গণনা ঠিক হয়, তাহলে তাঁরা (বিএনপি) জয়ী হবেন। তিনি বলেন, তাঁদের একটি অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কী অভিযোগ, তা তিনি বলেননি। অভিযোগ সম্পর্কে রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, ভোট গ্রহণের শেষ পর্যন্ত তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। টঙ্গী সার্কেলের ঊর্ধ্বতন সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ভোট গ্রহণ চলাকালে একটি অভিযোগও তাঁরা পাননি।
আর কদিন পরই শুরু হচ্ছে রমজান মাস। বরাবরের মতো এবারও রোজার আগে থেকেই ঈদ অ্যালবামের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংগীতশিল্পীরা। তবে গত কয়েক ঈদের তুলনায় এবারের ঈদে হয়তো তারকা শিল্পীদের উপস্থিতির সম্ভাবনা একটু বাড়তে পারে। শিল্পী ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যালবাম তৈরি ও প্রকাশ নিয়ে নানা মাত্রার কার্যক্রমে দারুণ ব্যস্ত এখন। প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান সংগীতা, জি সিরিজ, লেজার ভিশন ও সিডি চয়েস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে নিজেদের অ্যালবামের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। শেষ মুহূর্তে কিছু এদিক-সেদিক হতে পারেও বলে জানিয়েছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরা। এর মধ্যে অবশ্য কিছু কিছু সংগীতশিল্পী ব্যানার চূড়ান্ত করেছেন। আবার অনেক শিল্পী ডিজিটাল পদ্ধতিতে মুঠোফোন কিংবা ওয়েবসাইটে অ্যালবাম প্রকাশের কথাও ভাবছেন। সব মিলিয়ে ঈদ সামনে রেখে সাম্প্রতিক সময়ে অডিওশিল্পের কিছুটা নড়েচড়ে ওঠার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তারকা শিল্পীদের অ্যালবামের সংখ্যা হাতে গোনা হলেও গেল কয় বছরের হিসাব অনুযায়ী তা অনেকটাই সন্তোষজনক। গেল দুই-আড়াই বছর ঈদের মতো বড় উত্সবগুলোতে তারকা শিল্পীদের অ্যালবাম ছিল না প্রকাশের তালিকায়, যেমনটা শোনা যাচ্ছে এবারের ঈদ উপলক্ষে।  এবারের ঈদে প্রকাশ পাচ্ছে এমন অ্যালবামের সম্ভাব্য তারকা শিল্পীরা হলেন কুমার বিশ্বজিত্, বালাম, মিলা, বাপ্পা মজুমদার, তাহসান, হূদয় খান, আরফিন রুমী, শফিক তুহিন, কিশোর, পড়শী, বেলাল, শহীদ প্রমুখ। এর মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে কুমার বিশ্বজিতের নতুন একক তৈরি করছেন প্রিন্স মাহমুদ। ঈদ সামনে রেখে কুমার বিশ্বজিতের অ্যালবামের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বড় বাজেটের অ্যালবামটি এবার ডিজিটাল ও সিডি— দুভাবে প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচিত সংগীতশিল্পী বালামের ‘ভুবন’ অ্যালবামটি এবারের ঈদে মুক্তির বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত বলে জানালেন বালাম। তিনি বলেন, ‘আর যা-ই হোক, এই ঈদে আর মিস হবে না। কারণ, আমার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।’ ঈদে অ্যালবাম প্রকাশের কথা ভাবছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসানও। তাঁর নতুন ব্যান্ডের ‘তাহসান অ্যান্ড সুফিজ’ অ্যালবামের গানগুলো ডিজিটালি প্রকাশের পাশাপাশি সিডি আকারে প্রকাশের একটা উপায় খুঁজছেন বলেও জানালেন তাহসান। অন্যদিকে, ঈদের আগেই চলচ্চিত্রের একটি গান ডিজিটালি প্রকাশ করেছেন গুণী শিল্পী বাপ্পা মজুমদার। তাঁর সংগীত পরিচালনায় ‘সত্তা’ চলচ্চিত্রের সব কটি গানও ঈদে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন বাপ্পা। গেল কয় বছর প্রায় প্রতি উত্সবেই অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন আরফিন রুমী। সেই সূত্রে এই ঈদেও তিনি প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তাঁর নতুন একক। রুমী জানান, ‘আমার নতুন একক অ্যালবামের কাজ শেষ করেছি অনেক আগে। দশম রোজায় অ্যালবামটি শ্রোতাদের হাতে তুলে দিতে পারব বলে আশা করছি।’ একইভাবে এবারের ঈদে একক অ্যালবাম প্রকাশের বিষয়টি এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছেন শফিক তুহিন, হূদয় খান, কিশোর, পড়শী, বেলাল খান, শহীদ প্রমুখ। এর মধ্যে শফিক তুহিন ও কিশোরের অ্যালবামের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। রেকর্ড চলছে হূদয় খান, পড়শী, বেলাল, শহীদসহ অন্যদের। এদিকে, সাড়ে তিন বছর ধরে নিজের সুর ও সংগীত পরিচালনায় নতুন একক অ্যালবামের কাজ গোছাচ্ছিলেন আলোচিত সংগীতশিল্পী মিলা। জানা গেছে, এরই মধ্যে নিজের নতুন একক ও পূর্ণাঙ্গ ভিডিও অ্যালবামের কাজ শেষ করেছেন তিনি। চলছে ভিডিও সম্পাদনার কাজ। মিলা বলেন, ‘সব ঠিকঠাক থাকলে ঈদে অবশ্যই অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে। আর সে জন্যই এত দিন ধরে অপেক্ষা।’ ঈদে অ্যালবাম প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্লোজআপ তারকা-খ্যাত  কণ্ঠশিল্পী শশী। অ্যালবামের সব কটি গান তৈরি হয়ে আছে বলেও জানান তিনি। এখন ভালো কোনো ব্যানার পেলেই নিজের একক অ্যালবামটি ঈদে শ্রোতাদের হাতে তুলে দিতে চান তিনি।  সব মিলিয়ে এবারের ঈদে জনপ্রিয় শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশের প্রস্তুতি ভালোই শোনা যাচ্ছে। শিল্পী ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও জানা গেছে, শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা অন্য কোনো কারণে এ অবস্থার হয়তো পরিবর্তন হতে পারে।
কুয়েত থেকে আসা একটি বিমান থেকে প্রায় নয় কোটি টাকা দামের সোনার বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। আজ দুপুর দেড়টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইনসের বিজি০০৪ ফ্লাইট থেকে ২৫ কেজি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। শুল্ক কর্মকর্তারা প্রথম আলো ডটকমকে জানান, বিজি০০৪ বিমানটি কুয়েত থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে শুল্ক কর্মকর্তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিমানের পেছনের দিকের আসনের নিচ থেকে আট কোটি ৮৯ লাখ টাকা মূল্যমানের সোনা উদ্ধার করেন। অবৈধভাবে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধার করা সোনা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
‘ওয়াশিংটন টাইমস’-এ নিবন্ধ লেখার কথা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া অস্বীকার করায় কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা এখন দাবি করছেন, খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর জাল করে তাঁর নামে নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমার প্রশ্ন হলো, “ওয়াশিংটন টাইমস” কীভাবে তাঁর (খালেদা জিয়া) নামে নিবন্ধ প্রকাশ করার ঔদ্ধত্য দেখাল?’শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা নিবন্ধটি প্রকাশের পর এর পক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য করলেও তাঁরা এখন পাল্টা যুক্তি দেখাচ্ছেন।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যদি তাঁর স্বাক্ষর সত্যিই জাল করা হয়, তাহলে কেন বিএনপি “ওয়াশিংটন টাইমস” কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করছে না?’গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডন হিলটন হোটেলে যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার ব্যবস্থা (জিএসপি) বাতিল ও বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়ে ‘ওয়াশিংটন টাইমস’-এ নিবন্ধ লিখে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তিনি আরও বলেন, সর্বস্তরের জনগণের ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিএনপি নেতা এখন ‘ওয়াশিংটন টাইমস’-এ নিবন্ধ লেখার কথা অস্বীকার করছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে যদি দেশপ্রেম থাকত তাহলে তারা এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারত না।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিবন্ধটি যে খালেদা জিয়া নিজেই লিখেছেন “ওয়াশিংটন টাইমস” কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটাই প্রমাণ করে, বিএনপি কত বড় মিথ্যাবাদীর দল।’নিবন্ধ প্রকাশে ‘ওয়াশিংটন টাইমস’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী লন্ডনভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা খুঁজে বের করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাঁরা যে জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানটি আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
উত্সবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট নেওয়া। এখন চলছে ভোট গণনা। আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয়। শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। নির্বাচন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিশনের সচিব মোহাম্মদ সাদিক জানিয়েছিলেন, ওই সময় পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়কে জানানো হয়, বেলা তিনটা পর্যন্ত ৫৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। ব্রিফিংয়ে মো. সাদিক জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে নির্বাচন কমিশন। দু-একটি কেন্দ্রে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন।  নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান লড়ছেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে। বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের প্রতীক টেলিভিশন। সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৯ জন। কেন্দ্র ৩৯২টি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা মিলিয়ে প্রায় আট হাজার কর্মকর্তা নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ১১ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন রয়েছেন। গত ৭ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ২২ মে। প্রথমবারের মতো এ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৩ জনকে জরিমানার‌্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মনজুর মোরশেদ সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গাজীপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মজলিসপুর এলাকায় টাকা ও লিফলেট বিতরণের সময় ১৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। তাঁদের মধ্যে পুলিশের একজন কনস্টেবলও রয়েছেন। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনজুর মোরশেদ জানান, আটক ব্যক্তিদের প্রত্যেককে নির্বাচন কমিশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন হাজার টাকা করে জরিমানার পর সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০ নম্বর ওয়ার্ড (মজলিসপুর) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে গেলে তাঁকে র‌্যাবের দুজন ধরে নিয়ে যান। পরে তাঁকে জানানো হয়, নির্বাচনী প্রচারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁর লোকজন পোস্টার লাগিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তাই তাঁকে আটক করা হয়েছে। এরপর তাঁর কাছ থেকে তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের অভিনেত্রী যুক্তামুখী সম্প্রতি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন।মহারাষ্ট্রের আম্বলি থানায় করা মামলায় স্বামী প্রিন্স তুল্লির বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য গায়ে হাত তোলার পাশাপাশি অস্বাভাবিক যৌনাচরণের অভিযোগও তুলেছেন ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা।২০০৮ সালের নভেম্বরে হোটেল ব্যবসায়ী প্রিন্স তুল্লির সঙ্গে বিয়ে হয় যুক্তামুখীর। গত বছর থেকে তাঁরা আলাদাভাবে বসবাস করছেন। সম্প্রতি ভারতীয় পেনাল কোডের ৪৯৮ ও ৩৭৭ ধারায় প্রিন্স তুল্লির বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ‘মুম্বাই মিরর’।এ প্রসঙ্গে আম্বলি থানার সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর প্রভাকর মেধ জানান, ‘আমরা যুক্তামুখীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করেছি। স্বামীর পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধেও যৌতুকের জন্য গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেছেন যুক্তামুখী। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি নির্বাচন কর্মকর্তাদের তালিকা নিয়ে মিলিয়ে দেখুন। সেখানে ছাত্রদলের সাবেক নেতা, এমনকি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালন করছেন। বাস্তবতা না জেনে অযথা ঢাকায় থেকে ষড়যন্ত্র করবেন না।’ আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে যাঁরা আছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। এ অভিযোগের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন সম্পর্কে সকাল থেকে বিএনপির কার্যালয় থেকে তোলা নানা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) কথার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। গাজীপুরের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায়, সেখানে কোনো সহিংসতা বা গোলযোগ ঘটেনি। ঢাকায় বসে বিএনপির নেতাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, তাঁরা সেখানে গোলযোগের অভিযোগ তুলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চান। এভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে চান।’  মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বিদায়ঘণ্টা শুধু নড়বে, কিন্তু বাজবে না। এর আগেও তাঁরা অনেকবার বিদায়ঘণ্টা বাজাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেটি কার্যকর হয়নি। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে এবং গাজীপুরের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আন্দামান সাগরে আংশিক ডুবে যাওয়া এমভি হোপ জাহাজের ছয় নাবিকের খোঁজ আজ শনিবারও মেলেনি। গতকাল শুক্রবার উদ্ধার হওয়া দুটি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত হওয়া নাবিকেরা হলেন জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মাহবুব মোরশেদ (৪৫) ও প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাইফুদ্দিন (৫২)। থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এমভি হোপ জাহাজের নাবিক আবু বকর সিদ্দিক মৃতদেহ দুটি শনাক্ত করেন। মাহবুব মোরশেদের বাড়ি চট্টগ্রামে এবং সাইফুদ্দিনের বাড়ি ঢাকায়। নিখোঁজ ছয় নাবিক হলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন রাজীব চন্দ্র কর্মকার, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. নেজাম উদ্দিন, ইলেকট্রিশিয়ান মো. সাদিম আলী, চিফ কুক নাসির উদ্দিন, নাবিক মো. নাসির উদ্দিন ও মো. আলী হোসেন। জাহাজমালিকের স্বার্থরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আবদুল কাদের প্রথম আলো ডটকমকে জানান, সাধারণত পানিতে লাইফ জ্যাকেটের সাহায্যে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত মানুষ জীবিত থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সময় যত গড়াচ্ছে, জীবিত উদ্ধারের আশা তত কমছে। দুর্ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার এমভি হোপ জাহাজের নয়জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাঁরা হলেন দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন, জাহাজের ডেক ক্যাডেট মুশফিকুর রহমান, রাইক ফাইরুজ ও মোখলেছুর রহমান, চতুর্থ প্রকৌশলী আবদুল হাকিম, নাবিক আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ ওসমান ও সাইফুল ইসলাম।গত বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম বন্দরমুখী এমভি হোপ জাহাজটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পড়ে থাইল্যান্ড উপকূলের কাছে আন্দামান সাগরে আংশিক ডুবে যায়। এ সময় জাহাজের ক্যাপ্টেন বিপজ্জনক মনে করে জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। পরে নাবিকেরা লাইফবোট নিয়ে সাগরে ঝাঁপ দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘অনেক কেন্দ্রেই ১৮ দল-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারণ, নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে যাঁরা আছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।’ আজ শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব অভিযোগ করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, গাজীপুর সিটির অধীনে যে ১৬টি থানা আছে, সেসব থানার ১৪ জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই (ওসি) আওয়ামী লীগ-সমর্থিত। তিনি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, গাজীপুরের একটি কেন্দ্রে পুলিশের বাশার নামের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) ১৪ দল-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লার ব্যালটে সিল মেরেছেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। তবে তাঁদের জনরায় ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা জনগণই প্রতিহত করবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটের প্রক্রিয়া খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে। এতে ভোটাররা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’ গাজীপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির নেতা শুক্কুর আলীকে আটক করার তীব্র নিন্দা জানান ফখরুল। এতে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এর আগে ৩ জুলাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আমানত হোসেন খান রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমানের কাছে ৩৪ জন নির্বাচন কর্মকর্তার বিষয়ে অভিযোগ করেন। আওয়ামী লীগের দাবি, ওই কর্মকর্তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এর আগে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান ৮১ জন নির্বাচন কর্মকর্তার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেন।এ নির্বাচনে নির্বাচন কর্মকর্তার সংখ্যা সাত হাজার ২৫৯। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন এক হাজার  ১০০ দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক।
চার বছরের বেশি সময় ধরে অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সবগুলো সংস্করণেই একটি বাগ বা সফটওয়্যার-ত্রুটি থেকে গেছে, যার কারণে অ্যানড্রয়েডে সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়্যারের আক্রমণ ঘটছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন। এক খবরে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন। যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লুবক্সের গবেষকেরা জানান, অ্যানড্রয়েডের সবচেয়ে পুরোনো শত্রুর খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। এটি মূলত একটি সফটওয়্যার-ত্রুটি, যা ট্রোজান বা ম্যালিসাস ভাইরাসকে পরীক্ষা ছাড়াই অ্যানড্র্রয়েড প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের সুযোগ দেয়। সফটওয়্যারের এ ত্রুটির কারণেই অ্যানড্রয়েডনির্ভর পণ্য ব্যবহারকারী ম্যালওয়্যার সম্পর্কে জানতে পারেন না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ বাগটি সম্পর্কে গুগলকে অবহিত করেন গবেষকেরা। গবেষকেরা বলছেন, অ্যানড্র্রয়েডের দুর্বলতা বা বাগ হিসেবে একটি ‘মাস্টার কি’র খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। এ সফটওয়্যার-ত্রুটির কারণে সাইবার অপরাধীরা অ্যানড্র্রয়েড স্মার্টফোন থেকে তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকদের দাবি, অ্যানড্র্রয়েড সফটওয়্যারের এই ত্রুটি ২০০৯ সালের পর থেকে উন্মুক্ত সব সংস্করণেই রয়েছে। ক্রিপটোগ্রাফিক ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণেই অ্যানড্রয়েডে অতিরিক্ত ম্যালওয়্যারের আক্রমণ দেখা যায়। ক্রিপটোগ্রাফিক ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন পরীক্ষা করে দেখা হয়।আগামী আগস্ট মাসে অনুষ্ঠেয় ব্ল্যাক হ্যাক হ্যাকারস সম্মেলনে অ্যানড্র্রয়েডের এ ত্রুটির বিস্তারিত জানানোর কথা জানিয়েছেন গবেষকেরা।অ্যানড্রয়েডের সফটওয়্যার-ত্রুটির বিষয়ে গুগল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যসুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করায় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ বলে পরিচিত তৈরি পোশাকশিল্প এখন কঠিন সময় পার করছে। যুক্তরাষ্ট্র যদিও বলছে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এটি প্রতীকী ব্যবস্থা, এর পরও এর ক্ষতিকর প্রভাব কম নয়। ৪ জুলাই প্রকাশিত লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।প্রতিবেদনে পোশাক খাতের এই দুরবস্থার জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করা হয়েছে।আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, অন্যান্য বাজারেও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার হারাতে পারে বাংলাদেশ। এর ফল হবে মারাত্মক। বলা হয়েছে, বিদেশি বাজার ও দেশি রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তে রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প।প্রতিবেদনে বলা হয়, জিএসপি স্থগিতের বিষয়ে গত ২৭ জুন হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতি দেয়। ওই বিবৃতিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়নে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিকদের দুরবস্থা ও নানা দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের হতাহতের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হতাশার কারণেই জিএসপি স্থগিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৯০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এর পরিমাণ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। মার্কিন জিএসপি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাত্ক্ষণিকভাবে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না, তবে ব্যাপকভাবে এটি দেশটির ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ইতিমধ্যে তা দেশটির একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বড় দুটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ক্ষতি হয়েছে। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে ঘটে এই দুই দুর্ঘটনা। এর মধ্যে একটি ২০১২ সালের নভেম্বরে আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় ১১৭ জন শ্রমিক নিহত হন। অপর ঘটনায়, গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ভবনধসে এক হাজার ১৩০ জন শ্রমিক নিহত হন।২০১৪ সালের জানুয়ারির আগে আগে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। এই প্রেক্ষাপটে পোশাকশিল্প খাতটি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই শিল্পের ব্যর্থতার দিকগুলোর প্রতি অবহেলা এবং সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।২০১৩ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির নেতা খালেদা জিয়ার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে পোশাকশিল্পে নানা দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত থেকে ‘গণতন্ত্র রক্ষারও’ আহ্বান জানান তিনি।বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা প্রধান দুই দলের পাঁচ বছর মেয়াদি পালাবদলের সঙ্গে পরিচিত। নির্বাচন এলে অর্থনীতিও ঝিমিয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আইএমএফ।জিএসপি প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ওয়াশিংটন টাইমস’ পত্রিকায় খালেদা জিয়ার নিবন্ধের কথা জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী। বিষয়টি ভালোভাবে সামাল দিতে পারেনি বিএনপি। বরং তারা এক অদ্ভুত দাবি করেছে যে, দলটি কখনোই ওই নিবন্ধ জমা দেয়নি। তবে আওয়ামী লীগ জোর দিয়ে বলেছে, বিএনপি জাতির শত্রু। কারণ, তারা পোশাকশিল্পের ক্ষতি চায়।এই কাদা-ছোড়াছুড়ির মধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের অতীত ভুলে গেছে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার পোশাকশিল্পের অবাধ্য ইউনিয়ন নজরদারির জন্য একটি বিশেষ পুলিশ বাহিনী সৃষ্টি করেছে। অথচ ২০০৬ সালে এই ইউনিয়নই দলটির পাশে ছিল।তৈরি পোশাকশিল্পের একজন ব্যবস্থাপকের মতে, বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের পথ ধরেছে। শ্রমিক অসন্তোষকে উসকে দিচ্ছে তারা। তারা নিজেদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শ্রমিকদের ব্যবহার করতে চায়।জিএসপি প্রত্যাহারের ঘোষণায় আওয়ামী লীগ সরকারের ইউনিয়নবিরোধী অবস্থান উঠে এসেছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের শ্রমিকসংগঠক আমিনুল ইসলাম গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হন। পরে তিনি মারা যান। ঢাকার ও বিদেশি সুশীল সমাজ তাঁর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীগুলোর মতে, ওই ঘটনা পোশাকশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যরা সরকারের কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠায়। কিন্তু সরকার তাদের চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি। এদের মধ্যে কেউ কেউ বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিতের ব্যাপারে সুপারিশ করেছে।অনেক সমালোচকের সন্দেহ, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ যুক্তরাষ্ট্রকে জিএসপি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইউনূসকে পশ্চিমাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয়। ২০১৩ সালের এপ্রিলে মার্কিন কংগ্রেশনাল পদক পেয়েছেন তিনি। তিনি শেখ হাসিনার বিরাগভাজন। গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার জন্য সরকার একটি কমিশন করেছে। জিএসপি প্রত্যাহারের পর ওই কমিশনের ডাকা একটি কর্মশালা স্থগিত করা হয়েছে।
তাহসানের নতুন ব্যান্ডের ‘তাহসান অ্যান্ড সুফিজ’ অ্যালবামের গান প্রকাশের জন্য নতুন উপায় খুঁজছেন তাহসান। এর মধ্যে তিনি ফেসবুকের ফ্যান পেইজে ব্যান্ডের অ্যালবামের একটি গান প্রকাশও করেছেন।(www.facebook.com/tahsanfans) ঠিকানায় ১ জুলাই ‘জিজ্ঞেস করেছ’ গানটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম তিন দিন গানটি তাহসান-ভক্তদের জন্য বিনা মূল্যে শোনার পাশাপাশি ডাউনলোডেরও সুবিধা ছিল। বিনা মূল্যে গান ডাউনলোড করার সময় পার হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে গানটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তাহসান-ভক্তরা কিনতে পারবে।প্রথম আলো ডটকমকে তাহসান বলেন, ‘পাইরেসির দোহাই দিয়ে আমাদের অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো শিল্পীদের কোনো সম্মানী দিচ্ছে না। এমনকি তারা প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশ করতেও খুব একটা আগ্রহী নয়। প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশ করতে হলে নাকি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক টাকা খরচ করতে হয়। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের আচরণের কারণে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরাও সিডি আকারে অ্যালবাম প্রকাশের দিক থেকে আস্তে আস্তে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ভাবছেন নতুন কোনো পথে অডিও ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নেওয়া যায় কি না। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে আমি ‘তাহসান অ্যান্ড সুফিজ’ অ্যালবামের একটি গান ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই।’তাহসান আরও বলেন, ‘অনেক দিন ধরে ভক্ত-শ্রোতারা নতুন গান শোনার জন্য নানাভাবে অনুরোধ করে আসছেন। কিন্তু অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভট কিছু আচরণের কারণে মাঝে অ্যালবামের গান প্রকাশ থেকে বিরত ছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ওপর রাগ করে শ্রোতাদের গান শোনানো থেকে বঞ্চিত করার কোনো মানে হয় না। ওয়েবসাইটে গান প্রকাশের পর যদি সিডি আকারে ভক্ত-শ্রোতারা গানগুলো শুনতে চান, তাহলে প্রয়োজনে নিজে কোনো প্রতিষ্ঠান চালু করে সেখান থেকেই অ্যালবাম প্রকাশ করব। তার পরও পাইরেসির দোহাই দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নিজের অ্যালবাম দেব না।’‘তাহসান অ্যান্ড সুফিজ’ অ্যালবামের ‘জিজ্ঞেস করেছ’ গানটি বাজারজাত করছে মাশরুম এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। গানটি এখন শুনতে কিংবা কিনতে চাইলে তাহসান-ভক্তরা (www.facebook.com/tahsanfans অথবা  http://tahsan.bandcamp.com)ঠিকানায় ভিজিট করতে পারেন।
মাত্র চার বছর আগে বেঙ্গালুরুতে জঙ্গি সন্দেহে আটক হয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটার পারভেজ রসুল। অপ্রত্যাশিত ধাক্কা আর অপবাদ সামলে অটল ছিলেন নিজের অধ্যবসায়ে। পরিশ্রম, নিষ্ঠা আর পারফরম্যান্সের মিশেল তাঁকে এমন এক জায়গায় নিয়ে এসেছে, যেখানে তিনি আজ কাশ্মীরবাসীর গর্ব। কাশ্মীরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রক্তাক্ত প্রান্তর থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে পারভেজ সুযোগ করে নিয়েছেন ভারতীয় দলে। শুক্রবার জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে ঠাঁই হয়েছে এই অলরাউন্ডারের। যুদ্ধবিগ্রহ যে অঞ্চলের নিত্যসঙ্গী, ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা যেখানে অপ্রতুল, সেখান থেকে একজন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো কেবল চমকপ্রদই নয়, যেকোনো বিচারেই ইতিহাস সৃষ্টিকারী এক ঘটনা।পারভেজ রসুলের এই উত্থানটা অনুমিতই ছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে বিসিসিআই সভাপতি একাদশের হয়ে পারভেজ দারুণ খেলেছিলেন সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তাঁর অফস্পিনে ভূপাতিত হয়েছিলেন সাত-সাতজন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে তিনি মনোযোগ কেড়েছিলেন সবার। ব্যাট হাতে ৫৯৪ রান ও হাত ঘুরিয়ে ৩৩টি উইকেট নিয়ে তিনি যেন কড়া নাড়ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলে। শুক্রবার কড়া নাড়া অবস্থাতেই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার দুয়ারটি খুলে গেল পারভেজ রসুলের সামনে।পারভেজ রসুল অবশ্য আহামরি বিস্মিত নন নিজের উত্থানে। ভালো পারফরম্যান্স তিনি করে আসছিলেন ধারাবাহিকভাবে। মনের গহিনে প্রত্যাশা পুষে রেখেছিলেন জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার। স্বপ্নপূরণের মতো ব্যাপার হলেও পরিশ্রম, নিষ্ঠা আর পারফরম্যান্সই যে এর মূল অনুষঙ্গ সেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘আমি ধারাবাহিকভাবেই পারফর্ম করে আসছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও একটি ট্যুর ম্যাচে ভালো করেছি। ডাক পাওয়ার ব্যাপারটি প্রত্যাশিতই ছিল। তবে পরিশ্রম আর নিষ্ঠাই আমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই।’জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটকে খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আছে সাবেক ভারতীয় স্পিনার বিষেণ সিং বেদীর। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই পারভেজ রসুলের উত্থান বিস্মিত করে তাঁকে, ‘যে অঞ্চলে আঞ্চলিক ক্রিকেটের কোনো অবকাঠামো নেই, যেখানে কোনো টুর্নামেন্ট হয় না, সেখান থেকে একেবারে নিজের চেষ্টায় উঠে এসেছে পারভেজ রসুল। ব্যাপারটা বিস্ময়করই বটে।’মূলত বাবার উত্সাহেই পারভেজ রসুলের ক্রিকেটে আসা। বাবা গোলাম রসুল জারগার ক্রিকেটকে দারুণ ভালোবাসতেন। ভাই আসিফ অবশ্য টি-টোয়েন্টি সার্কিটে জম্মু ও কাশ্মীরকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে জারগারের দ্বিতীয় সন্তান পারভেজ রসুল নিজের ক্রিকেটীয় আগ্রহকে নিয়ে গেছেন অন্য পর্যায়ে। ১৯৮৯ সালে পারভেজ যখন এই পৃথিবীর আলো দেখলেন, তখন থেকে কাশ্মীরের সময়টা নিদারুণ ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ। জঙ্গিবাদ আর উগ্রবাদ তখন মাথা চাড়া দিয়েছে গোটা অঞ্চলে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই একমাত্র ক্রিকেটকে আগ্রহের কেন্দ্রে নিয়ে পথচলা পারভেজ পুরস্কারটা পেয়ে গেলেন হাতে হাতেই।প্রাথমিক লক্ষ্য তাঁর পূরণ হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ পেয়েছেন। এখন লক্ষ্য টিকে থাকা। সেই লক্ষ্যে কত দূর কী করতে পারবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে, পরিশ্রম যাঁর জীবনের অলংকার, নিষ্ঠা যার ব্রত, তিনি এই লক্ষ্যে যে সফলকাম হবেন, সেটা বলে দেওয়াই যায়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকা।
বাংলাদেশি দুই বোনকে মুম্বাইয়ে পাচারের সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের বাড়ি চট্টগ্রামে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই বোনকে কলকাতায় কাজের লোভ দেখিয়ে একটি দালালচক্র বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে নিয়ে আসে। হাওড়া রেলস্টেশনে আসার পর তাঁরা পাচারের বিষয়টি বুঝতে পারেন। তখন তাঁরা চিত্কার করলে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে। পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেখান থেকে গৌতম ও রিংকু নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।উদ্ধার হওয়া দুই বোনকে লিলুয়ার সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে।
ভারতে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ওপর চালানো এক জনমত জরিপে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ এগিয়ে রয়েছে। দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি সাময়িকী ‘দ্য উইক’ এ জনমত জরিপ পরিচালনা করে।সমীক্ষায় বলা হয়, ৫৪৩ আসনবিশিষ্ট লোকসভায় এনডিএ পেতে পারে ১৮৪টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) পেতে পারে ১৬২টি আসন।২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ পেয়েছিল ২৬২টি আসন, আর এনডিএ পেয়েছিল ১৫৯টি।জনমত জরিপের ফল বলছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদির পাল্লা ভারী। তাঁকে পছন্দ ৩২ শতাংশ মানুষের। এরপর রয়েছেন মনমোহন সিং। তাঁকে চাইছেন ১৫ শতাংশ মানুষ।১৩ শতাংশ চাইছেন রাহুল গান্ধী, আট শতাংশ সোনিয়া গান্ধী, পাঁচ শতাংশ লালকৃষ্ণ আদভানি, চার শতাংশ মুলায়ম সিং ও তিন শতাংশ চাইছেন মায়াবতী ও নীতিশ কুমারকে।বিজেপির প্রার্থী হিসেবে পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর আদভানি (১৫ শতাংশ), সুষমা স্বরাজ (১০ শতাংশ), রাজনাথ সিং (চার শতাংশ) ও নীতিন গড়কড়ি  (তিন শতাংশ)। কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন রাহুল গান্ধী (৩৯ শতাংশ), মনমোহন সিং (২৫ শতাংশ), সোনিয়া গান্ধী (১৮ শতাংশ), পি চিদাম্বরম (পাঁচ শতাংশ) এবং এ কে অ্যান্টনি (তিন শতাংশ)।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ উরুজগানের একটি থানায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচজন। গতকাল শুক্রবার দুপুরের খাবারের সময় কান্দাহারের পাশে তিরিন কট থানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির এক খবরে বলা হয়, হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পুলিশের কর্মকর্তা বলে ধারণা করা হচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, হামলাকারীর পরনে পুলিশের পোশাক থাকায় সে খুব সহজে থানার খাবার ঘরে ঢুকতে পেরেছিল। হামলাকারী পুলিশের সদস্য কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তদন্তের পর এটি পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি।        অনেক আগে থেকে হামলা করার জন্য তালেবানের লক্ষ্যবস্তু ছিল আফগান পুলিশ।ন্যাটো বাহিনী নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব আফগানিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়ার কয়েক দিন পর গতকাল এই আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটল।আফগানিস্তানের চোরা এলাকায় গতকাল রাস্তার পাশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শিশু নিহত হয়।তাদের বয়স ১০ থেকে ১১ বছর।পৃথক আরেকটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় পাকিস্তানের কাছে বলদাক সীমান্তে অন্তত দুজন নিহত হয়।তাঁদের মধ্যে  একজন সীমান্ত পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলায় আশ্রয় পেতে পারেন বলে আভাস দিয়েছেন দেশ দুটির প্রেসিডেন্ট। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো বলেন, লাখ লাখ সাধারণ মানুষের ফোনকল ও অনলাইন তত্পরতায় মার্কিন প্রশাসনের নজরদারির কথা ফাঁস করে দেওয়া স্নোডেনকে তাঁরা আশ্রয় দিতে চান। স্নোডেন এখন মস্কোর শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় আটকা পড়ে আছেন।আজ শনিবার বিবিসির এক খবরে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলার স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট মাদুরো এ ঘোষণা দেন। মাদুরো বলেন, ‘দেশের প্রধান হিসেবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তরুণ মার্কিন নাগরিক এডওয়ার্ড স্নোডেনকে এ দেশে আশ্রয় দেওয়া হবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ওই মামলা থেকে বাঁচতে স্নোডেন এখানে চলে আসতে পারেন।’নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওরতেগা বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তাঁর দেশও স্নোডেনকে আশ্রয় দিতে চায়।উইকিলিকস জানায়, গতকাল স্নোডেন রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আরও ছয়টি দেশে আবেদন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে এখনই এসব দেশের নাম প্রকাশ করা হবে না। এ ছাড়া, স্নোডেন ইতিমধ্যে ২১টি দেশে একই ধরনের আবেদন করেছেন, যার বেশির ভাগ দেশই ওই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।এডওয়ার্ড স্নোডেন লাখ লাখ সাধারণ মানুষের ফোনকল ও অনলাইন তত্পরতায় মার্কিন প্রশাসনের নজরদারির কথা ফাঁস করে গত ২০ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে চলে যান। এরপর গত ২৩ জুন তিনি হংকং ছেড়ে রাশিয়া যান। তখন থেকে স্নোডেন মস্কোর শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন।
উইন্ডোজনির্ভর কম্পিউটারের বিক্রিতে মন্দা চলতে থাকায় পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডেল। ডেলের কম্পিউটার বিভাগের কর্মকর্তা স্যাম বুর্ড সম্প্রতি গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ তথ্য জানিয়েছেন।স্যাম বুর্ড জানিয়েছেন, পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য বা পরিধেয় কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবসার সাম্প্রতিক চল হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রটির প্রসার ঘটবে। এই বিভাগের পণ্য তৈরির আগ্রহ রয়েছে ডেলের।বুর্ড আরও জানিয়েছেন, কম্পিউটারের আকার দিন দিন ছোটো হয়ে যাচ্ছে। আর এ ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে সহনীয় দাম ও ব্যবহারের অভিজ্ঞতা প্রদানও বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে। সব মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছরে নতুন প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে ভাবছে ডেল।বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, গুগলের প্রযুক্তিচশমার মতো স্মার্ট গ্লাস, ডেল স্মার্ট হাতঘড়িসহ নানা পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করতে পারে ডেল।
নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ শনিবার সকাল থেকে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উত্সাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাওজোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখে যায়। এ বিদ্যালয়ে মোট তিনটি কেন্দ্র রয়েছে।নাওজোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তাঁর কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৭৪ জন। এ কেন্দ্রের ছয়টি বুথে সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় প্রায় এক হাজারের মতো ভোট পড়েছে। নাওজোরের এই এলাকাটি শহরের বাইরে সাবেক বাসন ইউনিয়নের অংশ ছিল। বর্তমানে এটি সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। সাবেক বাসন ইউনিয়নের মোট ভোটার এক লাখ এক হাজার ৩৭০ জন।শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে কোনাবাড়ির বাইমাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, সকাল আটটার আগেই এখানে ভোটাররা লাইনে দাঁড়ান। নির্ধারিত সময় সকাল আটটায় ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে।যোগীতলা এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ তালুকদার জানান, কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই ভোটারদের ভিড় বাড়ছে।কোনাবাড়ি এলাকাটি আগে ইউনিয়ন ছিল। এটি এখন সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত।বাইরে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেলেও শহরের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম।গাজীপুর শহরের জয়দেবপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল নয়টার দিকে ভোটারদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। জয়দেবপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, কাজী আজিমউদ্দিন কলেজ, রানী বিলাসমণি উচ্চবিদ্যালয়সহ শহরের ভোটকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে।শহর এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডি কর্মকর্তারা বলেছেন, শহরের মানুষ সাধারণত একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে। এখানে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।সাবেক টঙ্গী ও গাজীপুর—এ দুই পৌরসভা এবং ছয়টি ইউনিয়ন গাছা, পুবাইল, কাশিমপুর, কোনাবাড়ি, বাসন ও কাউলতিয়া নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘আমি যাকে সমর্থন দিয়েছি, সে-ই নির্বাচনে জয়ী হবে বলে বিশ্বাস করি।’আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ ভালো। আবহাওয়াও ভালো। আশা করছি, অনেক বেশি ভোট পড়বে।’ব্যালট পেপারে নাম থাকলেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জনগণের উন্নয়নের জন্যই ভোট। আশা করি, সত্, যোগ্য ও দক্ষ লোক নির্বাচিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তার পক্ষে কাজ করতে আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি।’
সুরজের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার সব দায়িত্ব নিয়েছেন সালমান। বলিউডে সুরজ পাঞ্চোলিকে প্রতিষ্ঠিত করতে যা যা প্রয়োজন, এখন থেকে তার সবকিছু সামলাবেন ‘দাবাং’ তারকা সালমান খানের ব্যবস্থাপক রেশমা শেঠি। সালমান প্রযোজিত ‘হিরো’ ছবির মাধ্যমে সুরজের বলিউডে অভিষেক হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছেন রেশমা। বলিউডের অকালপ্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর এখন বলিউডে অভিষেক নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছেন সুরজ। সম্প্রতি তাঁর ব্যবস্থাপক হিসেবে রেশমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সালমানসহ ক্যাটরিনা কাইফ ও মাধুরী দীক্ষিতের মতো তারকাদের ক্যারিয়ারের খুঁটিনাটি নানা দিক সামলানোর দায়িত্বে রয়েছে রেশমার প্রতিষ্ঠান। এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’। এ মুহূর্তে হায়দরাবাদে ‘মেন্টাল’ ছবির শুটিং করছেন সালমান। রেশমা জানান, ‘আর কদিন পরই হায়দরাবাদে “মেন্টাল” ছবির শুটিং শেষে আমরা মুম্বাই ফিরব। ১১ তারিখের দিকে মুম্বাই ফেরার পর “হিরো” ছবির ঘোষণা দেব আমরা। এই ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সুরজের পাশাপাশি বলিউডে অভিষেক হচ্ছে সুনীল শেঠির মেয়ে আতিয়ার।’এদিকে, সালমানের সঙ্গে দেখা করতে ৪ জুলাই হায়দরাবাদ গেছেন সুরজ ও তাঁর বাবা আদিত্য পাঞ্চোলি। আদিত্য জানান, ‘অবশেষে সুরজ বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছে। এ জন্য আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। এখন থেকে সুরজ সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে সবাইকে রেশমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’
আন্দামান সাগরে কাত হয়ে আংশিক ডুবে যাওয়া এমভি হোপ জাহাজের নিখোঁজ ছয় নাবিকের সন্ধানে আজ শনিবার সকালে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু করেছে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ছয়জনের কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি।এমভি হোপ জাহাজের মালিকের স্বার্থরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আবদুল কাদের প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ‘আজ শনিবার পর্যন্ত আমরা জীবিত উদ্ধারের আশা করছি। এরপর জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ।’মালিকপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার দিন ও গতকাল শুক্রবার জীবিত উদ্ধার হয়েছেন নয়জন। তাঁরা হলেন দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন, জাহাজের ডেক ক্যাডেট মুশফিকুর রহমান, রাইক ফাইরুজ ও মোখলেছুর রহমান, চতুর্থ প্রকৌশলী আবদুল হাকিম, নাবিক আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ ওসমান, সাইফুল ইসলাম।এই নয়জন ছাড়াও দুজন নাবিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। নিখোঁজ ছয়জনসহ আটজন নাবিকের যে নামের তালিকা রয়েছে, এর মধ্যে তাঁরাও রয়েছেন। এই আটজন হলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন রাজীব চন্দ্র কর্মকার, মো. মাহাবুব মোর্শেদ, কাজী সাইফুদ্দিন, মো. নেজাম উদ্দিন, সাদিম আলী, মো. নাসির উদ্দিন, মো. আলী হোসেন, নাসির উদ্দিন (চিফ কুক)।প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরমুখী এমভি হোপ জাহাজ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পড়ে বৃহস্পতিবার ভোরে কাত হয়ে আংশিক ডুবে যায়। এ সময় জাহাজের ক্যাপ্টেন বিপজ্জনক মনে করে জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে নাবিকেরা সাগরে ঝাঁপ দেন। এর মধ্যে পাঁচজন নাবিক লাইফবোটে ওঠে সাগরে নেমে পড়েন।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জীবনকালে তাঁর অদ্ভুত যৌনজীবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। তিনি নিজেও এ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতেন, অনেক সময় প্ররোচনাও দিতেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এ বিষয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি।ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু মোহনদাস গান্ধীর যৌনাচারকে ‘অস্বাভাবিক ও অপ্রাকৃতিক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে এ নিয়ে গান্ধী ছিলেন অবিচল। কারণ, তিনি একে তাঁর নীতি-আদর্শ ও ধর্মাচরণের অংশ বলেই বিশ্বাস করতেন।‘গান্ধী: ন্যাকেড অ্যাম্বিশন’ বইয়ের লেখক জাড অ্যাডামসের মতে, যখন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে ‘মহাত্মা’ ও ‘জাতির পিতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজন দাঁড়াল, তখন তাঁর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড তো বটেই, ‘অদ্ভুত খেয়াল’ নিয়েও আলোচনার দ্বার সংকুচিত হয়েছে।গান্ধীজির যৌনাচার বর্জনের এ চর্চার শুরু কোথা থেকে, তা নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল। তবে ১৯০৬ সালে যখন তাঁর বয়স ৩৮, তখন থেকে তিনি ব্রহ্মাচর্য গ্রহণ করেন এবং তেমন জীবনযাপন শুরু করেন। এ জীবনের একান্ত অনুষঙ্গ হলো ওই কৌমার্যব্রত বা যৌনাচারহীন জীবনযাপন।সম্প্রতি গান্ধীর কৌমার্যব্রত-চর্চার সঙ্গী মানু গান্ধীর ডায়েরির কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ সাময়িকীতে। এসব ডায়েরির প্রকাশ এত দিন ‘নিষিদ্ধ’ ছিল। গান্ধীর পরিবার কখনোই চায়নি এসব তথ্য বাইরে প্রকাশিত হোক। এমনকি মানু গান্ধী যেন এসব তথ্য বাইরের কাউকে না জানান, সেজন্য গান্ধীর পরিবারের লোকেরা তাঁকে বিশেষভাবে ‘আদেশ’ করেছিলেন।কিন্তু কেন এমন আদেশ? কেমন ছিল গান্ধীর কৌমার্যব্রত? যে চর্চা গান্ধী সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেটি নিয়ে প্রচার দূরে থাক, আলাপ করাই নিষিদ্ধ হয়ে দাঁড়াল কেন?মানুর ডায়েরি থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে গান্ধীর কৌমার্যব্রতের চর্চা কিশোরীদের ওপর কী ধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলেছিল, তা কিছুটা হলেও বোঝা যায়। এ ছাড়া, তা গান্ধীর সঙ্গী নারীদের মধ্যে যে রেষারেষি তৈরি করেছিল, তা-ও বেরিয়ে আসে।মানু গান্ধীর আসল নাম মৃদুলা গান্ধী। মানু ছিল তাঁর ডাকনাম। এখন পর্যন্ত তাঁর ১০টি ডায়েরির সন্ধান মিলেছে। গুজরাটি ভাষায় লেখা ডায়েরির প্রথম অন্তর্ভুক্তি ১৯৪৩ সালের ১১ এপ্রিল। মানু ছিলেন গান্ধীর ভাতিজা জয়সুখলালের কন্যা। মানু তাঁর ডায়েরি গান্ধীকে নিয়মিত দেখাতেন। তিনি প্রয়োজনে ডায়েরির পাশে মন্তব্য লিখতেন।১৯৪২ সালে গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবাকে দেখভালের জন্য মানু পুনে শহরের আগা খান প্রাসাদে যান। গান্ধী তখন তাঁর পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বাস করতেন। মানুর কাজ ছিল অসুস্থ কস্তুরবার সেবা করা। ১৯৪৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কস্তুরবার মৃত্যুর পর গান্ধীর সঙ্গে থেকে যান মানু। গান্ধীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে মানু ডায়েরিতে লিখেছেন: ‘বাপু (মোহনদাসকে এ নামে ডাকা হতো) আমার মা। তিনি তাঁর চরিত্র গঠনের মহাযজ্ঞের ব্রহ্মাচর্য পালনের অংশে আমাকে সঙ্গী করে মানবজীবনের এক উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। এই চর্চার বিষয়ে যেকোনো চটুল আলাপ নিষিদ্ধ।’মহাত্মা গান্ধীর সচিব ছিলেন পিয়ারেলাল। তিনি তাঁর ‘মহাত্মা গান্ধী: দ্য লাস্ট ফেজ’ বইয়ে লিখেছেন: ‘একজন মা তাঁর মেয়ের জন্য যা কিছু করেন, তিনি (মোহনদাস) তাঁর (মানু) জন্য তা-ই করতেন। তিনি তাঁর পড়াশোনার খবর রাখতেন; খাবার, পোশাক, বিশ্রাম ও ঘুমের তদারক করতেন। ভালোভাবে দেখভালের জন্য তিনি তাঁর সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতেন। একজন পরিণত নারী হিসেবে (যদিও সে নির্মল) মায়ের সঙ্গে ঘুমাতে সে লজ্জা বোধ করত না।’ ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে মানু তাঁর (মোহনদাসের) দেহ মালিশ করে দিত, গোসল করিয়ে দিত এবং তাঁর জন্য রান্নাও করত।’মানুর ডায়েরিতে গান্ধীর অন্যান্য নারী সঙ্গীর প্রসঙ্গও এসেছে। তাঁদের অন্যতম ডাক্তার সুশীলা নায়ার। তিনি ছিলেন গান্ধীর ব্যক্তিগত চিকিত্সক এবং পিয়ারেলালের বোন। পরে সুশীলা স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। আরেকজন নারী হলেন বিবি আমাতুসসালাম।গান্ধীর কৌমার্যচর্চার অংশ কে হবেন, তা নিয়ে এই নারীকূলের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল তীব্র।১৯৪৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মানু তাঁর ডায়েরিতে লিখেছেন: ‘আজ বাপু আমাতুসসালামকে খুব শক্ত ভাষায় এক চিঠিতে জানিয়েছেন, কৌমার্যচর্চার অংশ হতে না পেরে আমাতুসসালামের যে অনুতাপ হচ্ছে, তা তাঁর চিঠি থেকে স্পষ্ট বোঝা গেছে।’মানুর এসব ডায়েরি ২০১০ সালে জাতীয় সংগ্রহশালায় পাঠানো হয়েছে। গান্ধীর কৌমার্যচর্চা নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধের বিষয়টিও এসব ডায়েরি থেকে পরিষ্কার হয়েছে। ১৯৪৭ সালের ৩১ জানুয়ারি বিহারের নবগ্রাম থেকে মানু লিখেছেন, গান্ধীর অনুসারী কিশোরীলাল মাসরুওয়ালা গান্ধীজিকে লেখা এক চিঠিতে মানুকে ‘মায়া’ (মায়াবি নারী) হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং গান্ধীজিকে এ থেকে মুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এর জবাবে গান্ধী কিশোরীলালকে লিখেছিলেন, ‘তোমার যা ইচ্ছে করো। কিন্তু আমি আমার পরীক্ষা নিয়ে নিঃশঙ্ক।’গান্ধীর কৌমার্যব্রত নিয়ে একই রকম আপত্তি করেছিলেন তাঁর সচিব আর পি পরশুরাম ও নির্মল কুমার বসু। নির্মল বসু পরে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সমাজের পরিচালক হয়েছিলেন। গান্ধী যখন মানুকে সঙ্গে নিয়ে নোয়াখালী আসেন, তখন এ দুজন গান্ধীর চর্চা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন। একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন সরদার বল্লভভাই প্যাটেল। ১৯৪৭ সালের ২৫ জানুয়ারি লেখা এক চিঠিতে তিনি গান্ধীজিকে তাঁর এসব চর্চা পরিত্যাগ করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, এসব চর্চা হলো ‘পুরোপুরি কেলেঙ্কারি’ এবং এতে গান্ধীর অনুসারীরা ‘যারপরনাই ব্যথিত’ হবেন।গান্ধীর এ চর্চা মানুর ওপর কতখানি প্রভাব ফেলেছিল এবং এ জন্য দেশের বড় নেতারাও কতখানি উত্কণ্ঠিত ছিলেন, তার প্রমাণ মেলে মোরারজি দেশাইয়ের এক চিঠিতে। বোম্বে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন মানুকে দেখে ফেরার পর ১৯৫৫ সালের ১৯ আগস্ট তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে লেখা চিঠিতে দেশাই বলেন, ‘মানুর সমস্যা যত না শারীরিক, তার চেয়ে বেশি মানসিক। জীবন নিয়ে তাঁর এক নৈরাশ্য তৈরি হয়েছে এবং কোনো ওষুধই তাঁর ওপর ক্রিয়া করছে না।’১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে গান্ধীজি উগ্র হিন্দুত্ববাদী নথুরাম গডসের গুলিতে মারা যান। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন মানু। অন্য পাশে ছিলেন আভা গান্ধী। গান্ধীর ভাতিজা কানুর স্ত্রী ছিলেন আভা। এর পরের দিন মানু লিখেছেন, ‘চিতার আগুন যখন বাপুর শরীরটা গিলে ফেলছিল, আমি নিশ্চুপ বসে ছিলাম আগুন না নেভা পর্যন্ত। সরদার প্যাটেল আমাকে সান্ত্বনা দিলেন; বাসায় নিয়ে গেলেন। আমি পুরোপুরি উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলাম।’মানু শেষ ডায়েরি লিখেছেন ১৯৪৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। এদিন তিনি দিল্লি ছেড়ে চলে যান। তিনি লিখেছেন: ‘ডায়েরির কথা কাউকে বলতে নিষেধ করেছেন কাকা (গান্ধীর ছোট ছেলে দেবদাস) এবং গুরুত্বপূর্ণ চিঠিগুলো ফাঁস করতে বারণ করেছেন। তিনি বলেন, “তুমি এখনো ছোট, কিন্তু তোমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখালেখি থাকল। আর তুমি অনেক সহজ-সরল।”’মানু তাঁর ৬৮ পৃষ্ঠার স্মৃতিকথার কোথাও গান্ধীর যৌনাচার নিয়ে কথা বলেননি। গান্ধীর এসব আচরণে কেমন বোধ করেছিলেন, তাও তিনি কখনো বলে যাননি। ‘বাপু: মাই মাদার’ শিরোনামের বইটিতে তিনি লিখেছেন, কস্তুরবার মৃত্যুর ১০ মাস পর গান্ধীজি তাঁকে চিঠি লেখেন। সেটিতে তাঁকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেন তিনি। মানুর ভাষায়, সেদিন থেকে ‘বাপু তাঁর মা’ হয়ে গেছেন। ছোটবেলায় মানু যে মাকে হারিয়েছিলেন, তাঁকেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন গান্ধীর মধ্যে।জীবনের বাকিটা সময় মানু কাটিয়েছেন খুব নীরবে। গান্ধীর মৃত্যুর পর ২১ বছর তিনি গুজরাটের ভাবনগরের কাছে মাহুভায় থাকতেন। এ সময় তিনি শিশুদের একটি স্কুল চালাতেন। এ ছাড়া তিনি ‘ভগিনি সমাজ’ নামের একটি নারীসংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। এ সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন ভানু লাহিড়ী। ভানু জানিয়েছেন, মানু প্রায়ই তাঁকে নিজের অনুভূতির কথা বলতেন। মানু বলতেন, ‘নিজেকে আমার মিরাবাঈয়ের (মধ্যযুগের কৃষ্ণভক্ত এক বিখ্যাত নারী সন্ন্যাসিনী) মতো মনে হয়, যে কেবল শ্যামকে (কৃষ্ণ) ভালোবাসার জন্য জন্মেছিল।’মানুর ডায়েরিগুলো পর্যবেক্ষণ করে মনস্তাত্ত্বিক সুধীর কর লিখেছেন, ‘নিজের পরীক্ষা নিয়ে মহাত্মা এতটাই অনুরক্ত ছিলেন যে, এতে বাকি নারীদের ওপর কী প্রভাব পড়ছে, তা তিনি চেয়ে দেখেননি। কয়েকজন নারীর মধ্যে তীব্র রেষারেষি ছাড়া এসব পরীক্ষা নারীদের ওপর কোনো মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলেছিল কি না, তা আমরা জানতে পারি না।’
জয়-পরাজয় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নির্ধারণ করেন। তবে একটি কথা আছে, ভয়েস অব দ্য পিপল ইজ ভয়েস অব দ্য গড। জনগণের রায় আমি অবনত মস্তকে মেনে নেব।’আজ শনিবার সকালে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান। টঙ্গীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে ভোট দেন তিনি।নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের আজমত উল্লা বলেন, ‘উত্সবমুখর পরিবেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছে—বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের এমন অভিযোগের জবাবে আজমত উল্লা অভিযোগ করেন, ‘এটা ওঁনার (মান্নান) অভ্যাস। তিনি সব সময় নেতিবাচক কথা বলেন।’আজমত উল্লা আরও অভিযোগ করেন, ‘তাঁর (মান্নান) দুর্নীতির কথা গাজীপুরের জনগণ ঘরে ঘরে জেনে গেছে। এ কারণে উনি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁর এত দুর্নীতি ছিল যে, একানব্বইয়ের পর থেকে জনগণ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’জনগণ কেন তাঁকে ভোট দেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লা বলেন, ‘আমি জনগণকে ভালোবাসি। জনগণও আমাকে ভালোবাসে। এ কারণে তাঁরা আমাকে ভোট দেবে।’নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান লড়ছেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে। আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের প্রতীক টেলিভিশন।প্রথমবারের মতো এ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ১৮ দল-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সরকার-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে আটক করা হচ্ছে। এগুলো কোনো ভালো ইঙ্গিত নয়।’আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সালনার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এম এ মান্নান এ কথা বলেন। ওই কেন্দ্রে তিনি ভোট দিয়েছেন। মান্নান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার পথে এগুলো বাধা বলে তিনি মনে করছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ফল যা-ই হোক, তা মেনে নেবেন।জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মান্নান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রেসক্লাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে পাঁচ সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ সময় প্রেসক্লাবের জানালা, চেয়ার, টেবিল ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়েছে।আহত ব্যক্তিরা হলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার শ্যামনগর প্রতিনিধি আকবর কবীর, দৈনিক জনতার প্রতিনিধি মো. কামরুজ্জামান, দৈনিক যুগের বার্তার প্রতিনিধি আনিছুজ্জামান, সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম ও দৈনিক সত্যপাঠ-এর প্রতিনিধি ফারুফ হোসেন এবং শ্যামনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জুলিয়াস মনীর।তাঁদের মধ্যে আকবর কবীর ও কামরুজ্জামানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এবং জুলিয়াস মনীরকে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম খান জানান, এ ঘটনায় আদম আলী নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।স্থানীয় লোকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুটবল খেলার মাঠে বসার স্থান নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে লিয়াকত হোসেনের ভাই উপজেলা সদরের মাজাট গ্রামের আজাদ আলীকে মারধর করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হায়দারের ছেলে রাজীব হায়দার। এর প্রতিবাদে গতকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মাজাট, কাশিপুর, ইসমাইলপুর ও হায়বাদপুর গ্রামের কয়েক শ বিক্ষুব্ধ মানুষ মিছিল বের করেন ও জগলুল হায়দারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে মিছিলটি প্রেসক্লাবে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। তারা জানান, প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটিতে জগলুল হায়দারের প্রভাব রয়েছে এবং তিনি প্রায়ই সেখানে বসেন।লিয়াকত হোসেন হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা অস্বীকার এবং নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। তিনি জানান, প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই প্রেসক্লাবে সব সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বসেন। এসব বিষয় নিয়ে প্রেসক্লাবে ছাত্রলীগ ও সাধারণ গ্রামবাসী হামলা চালিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, অতিবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে পটুয়াখালীতে চলতি বছর আউশ ফসল আবাদের ২৬ হাজার হেক্টরের বেশি জমি অনাবাদি ছিল। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকেরা। আমন চাষ করে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাঁরা বীজতলা তৈরি শুরু করলেও অতিবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে অনেক বীজতলা। তা ছাড়া পানি না নামায় অনেকে আমনের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। এই অবস্থায় আমন আবাদ নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকেরা।কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, মহাসেনের ছোবল, এরপর অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে প্লাবিত হয়েছে ফসলি খেত। আবার অনেক স্থানে বাঁধ না থাকায় ফসলি জমি ডুবে চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে আউশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাহবুব রব্বানী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ঋতু পরিবর্তন ঘটছে। ফসল উৎপাদনের সঙ্গে রোদ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা ও জোয়ার-ভাটার পানি—সবকিছুই জড়িত। কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্যের প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনের ওপর।একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, এখন যেভাবে অতিজোয়ার ও অতিবৃষ্টি হচ্ছে, তাতে অনেক এলাকায় আমনের বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন প্রয়োজন বীজতলা তৈরি ও যথাসময়ে চারা রোপণ করা। যত দেরি হবে, ততই ফসল উৎপাদন কম হবে বলে মনে করছেন তিনি।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় ৫৮ হাজার ৯৪৯ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু আবাদ হয়েছিল ৩২ হাজার ৭৭৬ হেক্টর। এ কারণে জেলায় ৪৭ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হন কৃষকেরা।সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ফুলতলার কৃষক মোসলেম ফকির জানান, আমনের বীজতলার জন্য দুই মণ ধান পানিতে ভিজিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে এলাকার অধিকাংশ ফসলি জমি ডুবে গেছে। পানি না নামায় খেতে হাল দিতে পারছেন না। এখন কীভাবে বীজতলা করবেন, সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৯৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য ১৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ জুলাই পর্যন্ত জেলায় চার হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। জেলায় সাধারণত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পটুয়াখালীর শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ জিয়াউল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকের প্রধান ফসল আমন। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই জেলার নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানিতে আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন বীজতলা পানিতে ডুবে থাকলে তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও জানান, আবহাওয়াজনিত কারণে প্রয়োজনের সময় যেমন বৃষ্টিপাত কম হয়, আবার অনেক সময় অতিবৃষ্টিও হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার বিজুলিয়া এলাকায় কুমার নদ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ছাত্রলীগের নেতা কর্নেল বিশ্বাস। ১৫ দিন ধরে বালু তোলায় ওই নদের পাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র দিয়ে বালু তোলায় নদের তলদেশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই যেকোনো সময় পাড় ভেঙে পড়তে পারে। তা ছাড়া বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এলাকার লোকজন নদে গোসল করতে সাহস পাচ্ছেন না।গত বুধবার সরেজমিনে বিজুলিয়া এলাকায় দেখা যায়, শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে বালু তোলার কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের একজন সামছুল ইসলাম। তিনি জানান, দুই সপ্তাহ ধরে তাঁরা বালু তুলছেন। হিতামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য কর্নেল বিশ্বাসের নির্দেশে তাঁরা বালু তুলছেন। প্রতি ঘনফুট বালুর জন্য তাঁরা দুই টাকা করে পান। প্রাথমিকভাবে এক লাখ ঘনফুট বালু ওঠানোর জন্য তাঁদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কর্নেল বিশ্বাস দুই টাকা দরে কিনে প্রতি ঘনফুট বালু পাঁচ টাকা দরে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করবেন। এভাবে এক লাখ ঘনফুট বালু বিক্রি করলে তাঁর তিন লাখ টাকা লাভ হবে। বালু বিক্রি করে তিনি লাভবান হলেও নদের পারের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী প্রিন্স জানান, নদ থেকে বালু তোলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বা ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের ওই নেতা অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে কুমার নদ থেকে বালু তুলছেন। এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।বালু তোলার কথা স্বীকার করে ছাত্রলীগের নেতা কর্নেল বিশ্বাস জানান, শৈলকুপার বিভিন্ন রাস্তায় উন্নয়নকাজ হবে। সেই কাজের জন্য বালু লাগবে। তাই আগে থেকে তিনি বালুর ব্যবস্থা করে রাখছেন। ওই বালু বিক্রি করে তাঁর কিছু লাভ হবে। এতে পাড় ধসে পড়বে বলে তাঁর মনে হচ্ছে না।পাউবো ঝিনাইদহ কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন জানান, নদ-নদীর মধ্য থেকে বালু ওঠানো সম্পূর্ণ বেআইনি। কুমার নদ থেকে বালু তোলার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই। এ ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বারবার চোখ আটকে যাচ্ছিল একটা ছবিতে। সুপার কাপের সেরা ফুটবলার মোবারককে আলাদা করে ডেকে কথা বলছেন লোডভিক ডি ক্রুইফ। কিন্তু বাংলাদেশ দল নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর প্রথম দিনেই তা হয়ে উঠল একটা প্রতীকী ছবি। দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়িয়ে দিলেন ডাচ কোচ। কাল সকালে ঢাকায় নেমেই বিকেলে সাফ ক্যাম্পে নিজের প্রথম সেশনে মোবারককে ডেকে দিলেন কিছু টিপস। কোচের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘এটা তেমন কিছু নয়। এমনি তারা যাতে ভালো বোধ করে আমার অনুশীলনে, সেটাই বললাম।’ জানা গেল, রাইট উইং দিয়ে মোবারক যখন দৌড়ান, অনেক সময় তাঁর মাথা একটু নিচু থাকে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উপদেশ দিয়েছেন।এটা দেখে জাহিদ হোসেনের ভালো লাগার কথা নয়। তিনিও রাইট উইঙ্গার। এখন মোবারক যদি তাঁর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ান! অনুশীলন শেষে এক সাংবাদিকের কাছে জাহিদ জানতে চাইলেন, মোবারককে কোচ কী বলেছেন? এটা জানার জন্য তাঁর কৌতূহলের শেষ ছিল না। হালকা চোট থাকায় জাহিদ ক্যাম্পে আলাদা অনুশীলন করছেন। কাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাহিদ-মোবারক প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টা বেশ উপভোগ করছিলেন উপস্থিত অনেকেই। রসিকতা করে অনেকে বলছিলেন, মোবারক চিন্তার কারণ হতে পারেন খেয়ালি ফুটবলার জাহিদের জন্য।কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব ছিল। পারফর্ম না করেও অনেক খেলোয়াড়ই বছরের পর বছর নামের জোরে খেলে এসেছেন। তবে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। একই পজিশনে জায়গা পাওয়ার দাবিদার অনেকে। জাহিদের জন্য প্রচ্ছন্ন হুমকি হয়ে আসা মোবারক সেটারই প্রমাণ বলা যায়।প্রথম অনুশীলনে ডি ক্রুইফকে ক্রস, পাস ও শুটিংয়ের ওপর বেশি জোর দিতে দেখা গেল। শুটিংয়ে দুর্বলতা দেখেই কি প্রথম দিন থেকেই এটা নিয়ে কাজ করছেন? ক্রুইফ বললেন, ‘দুর্বলতা বলব না। তবে ভালো শুটিংয়ের অনুশীলনটা দরকার। এটা ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নেতিবাচকভাবে দেখার কিছু নেই।’১-১১ সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় অষ্টম সাফ ফুটবলে আটঘাট বেঁধেই নামতে চান নতুন কোচ। দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হলে সেটি তো কোচের জন্যই ভালো।: �ট�2����(��ে হচ্ছে, বাফুফে সভাপতির একটা স্বপ্নের অপমৃত্যুও হতে পারে। সিলেট বিকেএসপিকে ফুটবল একাডেমির উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর নির্মাণে সরকার দুই কোটি টাকা দিয়েছে বেশ কমাস আগে। কিন্তু কাজের টেন্ডার নিয়ে ভজকট লাগায় এনএসসি এখনো অবকাঠামোয় হাত দেয়নি। একই সঙ্গে কমলাপুর স্টেডিয়াম বাফুফেকে লিখে দেওয়া নিয়েও এনএসসির সঙ্গে বাফুফের চলছে তীব্র মতবিরোধ। এ নিয়ে মহা ক্ষুব্ধ বাফুফে সহসভাপতি বাদল রায় বলছেন, ‘সিলেট একাডেমির কাজের টেন্ডার নিয়ে নানা টালবাহানা করে কাজটা ঝুলিয়ে দিয়েছে এনএসসি। একইভাবে এনএসসির নির্বাহী কমিটির সভায় কমলাপুর স্টেডিয়াম বাফুফেকে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এখন সমঝোতা স্মারক করার কথা বলা হচ্ছে। এনএসসির এই টালবাহানায় মৌখিকভাবে আমি এনএসসিকে বলেছি, দরকার নেই আমাদের সরকারি স্থাপনার। এ বিষয়ে আমরা রোববার সংবাদ সম্মেলন করতে পারি।’তাহলে কি সিলেট একাডেমি করা থেকে পিছিয়ে আসছে বাফুফে? সভাপতি সালাউদ্দিন নিজেও হতাশায় ভুগলেও আরেকটু দেখতে চান ‘আমরা আর দুই-তিন দিন দেখব। সবকিছু আমাদের অনুকূলে না এলে একটা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এভাবে তো আর চলছে না।’একাডেমির জন্য ফিফা চার লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে অনেক আগেই। অথচ এখন পর্যন্ত কাজের খবর নেই। কোস্টার সিলেট ঘুরে এসে বলছেন, ‘ওটা ভুতুড়ে জায়গা। ভয়ানক খারাপ লেগেছে আমার কাছে। একাডেমির কিছুই নেই।’ তাঁর পরামর্শ, ‘সিলেট অনেক দূরের পথ। ফেডারেশনের উচিত ঢাকার আশপাশে একাডেমি করা।’সেটি করতে গেলে আরও কয়েক বছর লাগবে। ফিফার এ-সংক্রান্ত অনুদানের সবই ফেরত যাবে। দেশের সম্মান কি যাবে আরও?
জয়পুরহাটে মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ না করেই ওই বিষয়টিকে আবশ্যিক (বাধ্যতামূলক) হিসেবে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করায় জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। চলতি শিক্ষাবছরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ৫০ নম্বরে পরীক্ষা দিতে হবে জেলার সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থীকে। এ অবস্থায় কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ক্লাস চালাচ্ছে।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় ও কয়েকটি বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ২০১৩ সাল থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চারু ও কারুকলাকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় চারুকলা বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় ১৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৪টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। জয়পুরহাট সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দিবা শাখায় একজন চারু ও কারুকলার শিক্ষক থাকলেও প্রভাতী শাখায় ওই বিষয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ওই শাখার শিক্ষার্থীরা পাঠ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। একই অবস্থা জয়পুরহাট রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে। পাঁচবিবি এলবিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এবং পাঁচবিবি এনএম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলা বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই।জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা নাসরিন আখতার জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে প্রভাতী শাখায় চারু ও কারুকলার শিক্ষক না থাকায় তিনি ওই বিষয়ের শিক্ষক চেয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাজশাহী বরাবর আবেদন করেছেন।জেলার কোনো বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চারু ও কারুকলা বিষয়ের শিক্ষক নেই। শিক্ষকদের অভিযোগ, চারু ও কারুকলার মতো একটি জটিল বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা না হলেও চলতি বছর জেলার বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে প্রথম ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষায় ভালো নম্বর না পেলে জিপিএ-৫ পাবে না। জিপিএ-৫ না পেলে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না। এমনকি অনেক পরীক্ষার্থী ফেলও করতে পারে।পাঁচবিবি এনএম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী রিফাত আরা, ভাদসা উচ্চবিদ্যালয়ের আইভি রহমান জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলার শিক্ষক নেই। আগামী নভেম্বরে তারা জেএসসি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। এ নিয়ে তারা চিন্তিত।কালেক্টরেট বালিকা বিদ্যা নিকেতনের জেএসসি পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার ও জান্নাতুন ফেরদৌস জানায়, তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ টাকা করে অতিরিক্ত ফি নিয়ে বাইরের একজন শিক্ষক দিয়ে তাদের চারু ও কারুকলার ক্লাস করানো হচ্ছে। শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে এই ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেন।শহরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যেহেতু সাধারণ শিক্ষকদের চারু ও কারুকলা বিষয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, তাই তাঁরা জেএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করতে গিয়ে জটিলতায় পড়বেন বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, জেলার দুটি সরকারি বিদ্যালয় ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ওই বিষয়ের শিক্ষক নেই। এ বছর প্রথম জেলার জেএসসি পরীক্ষার্থীরা এ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সরকার দ্রুত ওই বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী।
বরিশাল নগরে এক কলেজশিক্ষকের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে মালামাল নেওয়ার সময় বাধা দিলে এক চোর তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরের কাউনিয়া এলাকার জানকিসিংহ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। চোরের হামলায় ওই শিক্ষকের বড় মেয়ে আহত হয়েছেন।নিহত নারীর নাম দিল আফরোজ (৩৬)। তিনি অমৃত লাল দে কলেজের শিক্ষক মাহমুদ আল জালালের স্ত্রী। রুকাইয়া বিনতে মাহমুদ (১৫) বলে, ‘বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে দোতলার উত্তর দিকের গ্রিল কেটে আমাদের বাসায় এক লোক ঢোকে। আমি ও আমার ছোট বোন রেজওয়ানা বিনতে মাহমুদ যে কক্ষে থাকি, ওই লোক সে কক্ষে ঢুকে মুঠোফোনের সেট এবং টাকা নেওয়ার চেষ্টা করলে আমি টের পেয়ে চিৎকার দিই। এ সময় ওই লোক ছুরি দিয়ে আমাকে আঘাত করে। চিৎকার শুনে মা আমাদের রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে মা ওই চোরকে ধরে ফেলার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই চোর ছুরি দিয়ে মায়ের হাত ও বুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে মা মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। বাবাকে ডাকতে গিয়ে দেখি তাঁর কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। দরজা খুলে দেওয়ার পর বাবা কক্ষ থেকে বের হন। কিন্তু তিনি আমাদের কক্ষে আসার আগেই চোর মুঠোফোনের তিনটি সেট ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।’মাহমুদ আল জালাল জানান, রাত তিনটার দিকে মেয়েদের চিৎকারে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিন বাড়ির মধ্যে ধস্তাধস্তির শব্দ পান। এ সময় তিনি তাঁর কক্ষ থেকে বের হতে গিয়ে দেখেন বাইরে দিয়ে দরজা আটকানো। একপর্যায়ে তাঁর বড় মেয়ে দরজা খুলে দেয়। বের হয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
পদ্মা ও যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে বালু-পলি জমে ডুবোচর তৈরি হয়েছে। ডুবোচরে মাঝেমধ্যে ফেরি আটকা পড়ছে। গতকাল শুক্রবার একটি ফেরি যানবাহন নিয়ে ডুবোচরে আটকা পড়ে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও ঘাট সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি শাহ পরান গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দৌলতদিয়া অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের ডুবোচরে আটকা পড়ে। ফেরিতে সাতটি বাস, তিনটি ট্রাক ও ১৪টি ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল। একটি ফেরি ও একটি উদ্ধারকারী জাহাজ গিয়ে ফেরিটিকে প্রায় তিন ঘণ্টা পর উদ্ধার করে।শাহ পরান ফেরির মাস্টার লুৎফর রহমান বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে নদীতে অনেক স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোতের তোড়ে চ্যানেলগুলো ভরাট হয়ে ডুবোচর তৈরি হওয়ায় দুই দিন ধরে মাঝেমধ্যে ফেরিগুলো ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। গত বুধবার বিকেলে ফেরি শাহ মখদুম ও খানজাহান আলী দুই দফায় প্রায় দুই ঘণ্টা করে একই স্থানে ডুবোচরে আটকা পড়ে।বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আলম হাওলাদার বলেন, নদীতে স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে বেশি সময় লাগছে। পাশাপাশি বালু ও পলি জমে অ্যাপ্রোচ চ্যানেল ভরাট হওয়ায় ডুবোচর দেখা দিয়েছে। এতে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। দুই দিন ধরে মাঝেমধ্যে ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ছে। এসব কারণে দৌলতদিয়ায় গাড়ির চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে আটটি মাছ ধরার ট্রলারে গত বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতেরা মালামালসহ আটটি ট্রলার এবং তিন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় ৩০ জেলে আহত হয়েছেন।ট্রলারের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে ডাকাতেরা মেঘনার হুজুরের খাল, হাজীপুর চরের পূর্ব মেঘনা ও আব্দুল্যাহপুর এলাকায় কামাল কোম্পানির দুটি এবং আওলাদ হোসেন, গোলামনবী, সিরাজুল ইসলাম, আবদুল বারেক সওদাগর, আবদুল হান্নান মাঝি ও হানিফ মাঝির একটি করে ট্রলারে অতর্কিত হামলা চালায়। ডাকাতেরা এসব ট্রলারে থাকা ৩০ জন জেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে নদীতে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তারা মালামাল, জালসহ ট্রলারগুলো নিয়ে যায়। ট্রলারের মালিকদের বাড়ি ভোলার দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।ট্রলারমালিক গোলামনবী জানান, ডাকাতেরা তাঁর ট্রলারের দুজন এবং আওলাদ হোসেনের একজন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, নদীতে মাছ না থাকলেও ডাকাতি বন্ধ নেই। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চুপ করে বসে আছে।কোস্টগার্ডের রামগতি ক্যাম্পের পেটি অফিসার নেওয়াজ বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় স্পিকার বাহিনীসহ কয়েকটি বাহিনী মেঘনা ও সাগর মোহনায় ডাকাতি করছে। আমরা একদিকে টহল দিলে অন্যদিকে ডাকাতি হচ্ছে। দস্যু দমনে মেঘনায় একটি বাহিনীর একাধিক দলের টহল দরকার।’
এই যে একাডেমির কোনো খবর নেই। আপনার খারাপ লাগছে না? আপনার নিয়োগ তো মূলত একাডেমির প্রধান কোচ হিসেবে?’রেনে কোস্টার মৃদু হাসেন। তাঁর মনে পড়ে কাজী সালাউদ্দিনের সেই প্রতিশ্রুতির কথা, ‘জুন নাগাদ ওটাকে চেলসির একাডেমির মতো করে দেবেন বলেছিলেন মিস্টার সালাউদ্দিন। কই এখন অব্দি কিছুই তো দেখছি না।’সিলেট বিকেএসপিকে ফুটবল একাডেমিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া থমকে আছে বেশ কয়েক মাস ধরে। এ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সঙ্গে রীতিমতো ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে বাফুফের। এ অবস্থায় জাতীয় দলের সাফ ক্যাম্প নিয়ে আছেন রেনে কোস্টার। অবশ্য এই ডাচ কোচ নিয়োগপ্রাপ্ত জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবেও।‘একাডেমি যখন হওয়ার হবে। জাতীয় দলেই এখন সব মনোযোগ দিচ্ছি’—রেনের একই কথার পিঠে প্রশ্ন ওঠে, একাডেমি এখনো প্রস্তুত না হওয়া তাঁর জন্য কতটা হতাশার? এবার জবাব, ‘এটা আমার বিষয় নয়। আমি হতাশ হব কেন? তবে হ্যাঁ, সবার মতো আমিও অপেক্ষা করছি।’কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। উচ্চ বেতনে কোচ এনে এখন একাডেমিই প্রস্তুত করতে না পারলে কেমন দেখায়! এ বছরের শুরুর দিকে ফিফার পরিদর্শক এসেছে ঢাকায়, তাদের উপস্থিতিতে একাডেমির জন্য ৬০ জন খেলোয়াড় বাছাইও করা হয়েছিল। সেই ছেলেদের অপেক্ষা আর শেষ হচ্ছে না। জুলাই চলছে, কবে নাগাদ তাদের একাডেমিতে তোলা যাবে কেউ জানে না।কোস্টার নিজেও অনিশ্চিত, ‘এখন শুনছি অক্টোবর নাগাদ শুরু হতে পারে। কিন্তু মনে হচ্ছে বছর খানেকও লেগে যেতে পারে। তবে আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। ফুটবল ভালোবাসি। কাজ যেখানে পাব, করব।’কোস্টারকে একাডেমির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার চেয়েও যেটি বড় মনে হচ্ছে, বাফুফে সভাপতির একটা স্বপ্নের অপমৃত্যুও হতে পারে। সিলেট বিকেএসপিকে ফুটবল একাডেমির উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর নির্মাণে সরকার দুই কোটি টাকা দিয়েছে বেশ কমাস আগে। কিন্তু কাজের টেন্ডার নিয়ে ভজকট লাগায় এনএসসি এখনো অবকাঠামোয় হাত দেয়নি। একই সঙ্গে কমলাপুর স্টেডিয়াম বাফুফেকে লিখে দেওয়া নিয়েও এনএসসির সঙ্গে বাফুফের চলছে তীব্র মতবিরোধ।এ নিয়ে মহা ক্ষুব্ধ বাফুফে সহসভাপতি বাদল রায় বলছেন, ‘সিলেট একাডেমির কাজের টেন্ডার নিয়ে নানা টালবাহানা করে কাজটা ঝুলিয়ে দিয়েছে এনএসসি। একইভাবে এনএসসির নির্বাহী কমিটির সভায় কমলাপুর স্টেডিয়াম বাফুফেকে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এখন সমঝোতা স্মারক করার কথা বলা হচ্ছে। এনএসসির এই টালবাহানায় মৌখিকভাবে আমি এনএসসিকে বলেছি, দরকার নেই আমাদের সরকারি স্থাপনার। এ বিষয়ে আমরা রোববার সংবাদ সম্মেলন করতে পারি।’তাহলে কি সিলেট একাডেমি করা থেকে পিছিয়ে আসছে বাফুফে? সভাপতি সালাউদ্দিন নিজেও হতাশায় ভুগলেও আরেকটু দেখতে চান ‘আমরা আর দুই-তিন দিন দেখব। সবকিছু আমাদের অনুকূলে না এলে একটা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এভাবে তো আর চলছে না।’একাডেমির জন্য ফিফা চার লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে অনেক আগেই। অথচ এখন পর্যন্ত কাজের খবর নেই। কোস্টার সিলেট ঘুরে এসে বলছেন, ‘ওটা ভুতুড়ে জায়গা। ভয়ানক খারাপ লেগেছে আমার কাছে। একাডেমির কিছুই নেই।’ তাঁর পরামর্শ, ‘সিলেট অনেক দূরের পথ। ফেডারেশনের উচিত ঢাকার আশপাশে একাডেমি করা।’সেটি করতে গেলে আরও কয়েক বছর লাগবে। ফিফার এ-সংক্রান্ত অনুদানের সবই ফেরত যাবে। দেশের সম্মান কি যাবে আরও?
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অশ্লীল ছবির সিডি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় এগুলো সংরক্ষণ করার অভিযোগে র‌্যাবের সদস্যরা ছয়জনকে আটক এবং পাঁচটি কম্পিউটার জব্দ করেন।আটক হওয়া ছয়জন হলেন ফরিদুল ইসলাম, মারুফ, হেলাল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন ও রিংকু মিয়া। তাঁদের বাড়ি কালীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে।ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ ক্যাম্পের সহকারী কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম আশরাফ আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে তাঁরা বিপুল পরিমাণ অশ্লীল ছবির সিডি উদ্ধার করেন এবং এগুলো রাখার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেন।
বিকল্প আয়োজক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার নাম একটু-আধটু শোনা যাচ্ছিল। এবার হুট করে চলে এল ভারত! কালকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবর, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ হতে পারে ভারতে। শুধু তা-ই নয়, পত্রিকাটির দাবি, ভেন্যু সমস্যা ও রাজনৈতিক সমস্যা না মিটলে পুরো টুর্নামেন্টই সরে যেতে পারে ভারতে!ভারতীয় বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান জগমোহন ডালমিয়া কাল পত্রিকাটিকে বলেছেন, ‘আমরা কারও কাছ থেকে ম্যাচ কেড়ে নিতে চাই না। বরং বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চাই। বাংলাদেশে সমস্যা যদি না মেটে, তাহলে কয়েকটা ম্যাচ আমরা আয়োজন করে ওদের সাহায্য করারই চেষ্টা করব।’ ডালমিয়ার ঘনিষ্ঠ বোর্ডের কোনো কোনো কর্তা আবার পত্রিকাটিকে বলেছেন, পুরো টুর্নামেন্টই সরে আসতে পারে ভারতে।আইসিসি সভা থেকে ফিরে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান অবশ্য বারবারই বলেছেন, আগামী বছর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।সিঙ্গাপুরে গেছেন স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য, সেখান থেকেই কাল ফোনে পুরোনো কথাই বললেন নতুন করে। টুর্নামেন্টটির ভারতে সরে যাওয়ার জোরের সঙ্গে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘কক্সবাজারে স্টেডিয়াম নির্মাণ আর সিলেট স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আর এই দুই ভেন্যু যদি প্রস্তুত না-ও হয়, বিকল্প হিসেবে ফতুল্লা ও বিকেএসপির কথা তো আমরা বলেছিই। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আইসিসির পরিদর্শক দল যখন আসবে, তখন বিকল্প ভেন্যু দেখে তারা খুশি হবে আশা করি। বিশ্বকাপ নিয়ে শঙ্কার কিছু দেখছি না। আমি কোনো চিন্তাই করছি না।’
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গণধর্ষণের শিকার মেধাবী সেই ছাত্রীর চোখেমুখে এখনো ভয়ের ছাপ। অচেনা কাউকে দেখলেই আঁতকে উঠছে সে। চিকিৎসক বলেছেন, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে মেয়েটি। সেরে উঠতে সময় লাগবে।এদিকে ইউএনও ও ওসির দেওয়া আশ্বাসের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবীব জানান, সার্বক্ষণিক মেয়েটির খোঁজখবর রাখছেন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক প্রতিবেদন পেয়েছেন। সেখানে ধর্ষণের আলামত রয়েছে। অপরাধীদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।গত মঙ্গলবার উপজেলার আন্ধারীরঝারে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়। প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার এলাকার সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধন করে। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোতে ‘গণধর্ষণ, মেধাবী ছাত্রীর স্বপ্নভঙ্গ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি গতকাল প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে সবচেয়ে আলোচিতের তালিকায় শীর্ষে ছিল। বহু পাঠক ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
প্রিমিয়ার ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (পিএফসিএল) নামে একটি সমবায় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা গোপালগঞ্জ থেকে গ্রাহকদের ১৮ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার গ্রাহকেরা টাকা ফেরত ও প্রতারকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন।গতকাল বেলা ১১টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সমেঞ্চলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রাহক তরুণকান্তি মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালে পিএফসিএল গোপালগঞ্জ শহরের কলেজ রোডে একটি ভবন ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি জেলার বিভিন্ন স্থানে মাঠ কর্মকর্তা নিয়োগ করে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতে থাকে। লোকজন শেষ সম্বল বা জমি বিক্রি করে ওই প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখেন। গ্রাহকদের মাসে এক লাখ টাকায় দেড় হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়া হতো।তরুণকান্তি মজুমদার আরও অভিযোগ করেন, চলতি বছরের মার্চে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা জমা টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেন। এরপর কয়েক শ গ্রাহক তাঁদের জমা দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে ধরনা দেন। কিন্তু তাঁরা টাকা ফেরত পাননি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) গাইবান্ধা কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ২৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। নয়জন প্রকৌশলীর পদ থাকলেও মাত্র দুজন প্রকৌশলী দিয়ে কোনো রকমে কাজ চালানোয় ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থার তদারকি কাজ।গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধায় একজন উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর পদ থাকলেও দীর্ঘদিন এই পদটি শূন্য। তিনজন সহকারী প্রকৌশলীর জায়গায় আছেন মাত্র একজন। চারটি উপসহকারী প্রকৌশলীর পদের সব কটিই শূন্য রয়েছে।এ ছাড়া ১০ জন লাইন সাহায্যকারী, চারজন অভিযোগ গ্রহণ সহকারী, চারজন রিডিং সংগ্রহকারী ও চারজন নৈশপ্রহরীর পদ শূন্য রয়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে জেলার সার্বিক বিদ্যুৎ সরবরাহ তদারকি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিভাগের সাতটি ফিডারের প্রতিটি তদারকির জন্য একজন করে প্রকৌশলী থাকার কথা। কিন্তু একজন সহকারী প্রকৌশলীকে ওই সাতটি ফিডারের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকার গ্রাহকদের দু-তিন দিন পর্যন্ত অন্ধকারে থাকতে হয়।গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আবু আসাদ প্রামাণিক বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী প্রশাসনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাই গ্রাহকদের অভিযোগের সমাধান ও গোটা অঞ্চলের বিদ্যুৎ-সংযোগ তদারকির কাজ এককভাবে আমাকেই করতে হচ্ছে। একাই সাতজন প্রকৌশলীর কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছি।’নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। শূন্য পদে লোকবল চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। এমনকি জেলা প্রশাসককেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী বেতারের যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবার কখনো চুরির বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আমলেই নেয়নি। এদিকে কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অচল হয়ে আছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে।বেতারের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে রাজশাহী বেতারে ২২টি কম্পিউটার রয়েছে। বেশির ভাগই ভালোভাবে কাজ করে না। আবার সাতজন সহকারী পরিচালকের কাজ করার জন্য কোনো কম্পিউটার নেই। রেকর্ডিং বুথে গিয়ে কাজ করতে চাইলে প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারীরা কম্পিউটার নষ্ট—এই অজুহাতে তাঁদের সহযোগিতা করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। এ অবস্থায় রাজশাহী বেতার অচল হওয়ার উপক্রম হয়েছে।বেতারের খুচরা যন্ত্রাংশ ও পাম্পের একটি মোটর হারানোর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৯ মে বেতারের ওয়েল সার্কিট ব্রেকার (ওসিবি) যন্ত্রের তামার পাত এবং ২২ মে একটি কক্ষের ১ দশমিক ৫ হর্স পাওয়ারের সচল বিকল্প মোটর হারানোর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি জানার ৮-১০ দিন পর ২ জুন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।কমিটি ২৭ জুলাই একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন উপ-আঞ্চলিক পরিচালক হাসান আক্তার। সদস্য ছিলেন সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইমরান ও উপ-আঞ্চলিক প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম সরকার।প্রতিবেদনে তাঁরা উল্লেখ করেন, বেতারের প্রকৌশল শাখায় যাঁরা বিভিন্ন পালায় দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরাই এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এর আগে চুরির যেসব ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চুরির ঘটনা বাড়ছে।এক মণ ওজনের মোটর চুরির সঙ্গে রেডিও টেকনিশিয়ান হাসান আব্বাস ওরফে জাকীর জড়িত থাকার বিষয়টি কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও রেডিও টেকনিশিয়ান এ এম মিল্টন প্রথমবার দেরিতে এবং পরের বার তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরই হননি। এতে কমিটিকে অবমাননা করা হয়েছে।জানা গেছে, এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই কমিটি তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে, ২০০৮ সালে নিলামকৃত মালামালের সঙ্গে ১৫ টন ওজনের একটি কম্প্রেশার হারিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে।জানতে চাইলে আঞ্চলিক প্রকৌশলী মেরাজ উদ্দিন আহমেদ কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের একটি নষ্ট থাকার কথা স্বীকার করলেও চুরির বিষয়ে তিনি কিছু জানে না বলে জানিয়েছেন।তবে আঞ্চলিক পরিচালক ফরিদ উদ্দিন দাবি করেন, কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র নষ্ট হয়নি। যন্ত্রটি ভালো রাখার জন্য বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। চুরির ঘটনাগুলো তিনি শুনেছেন। কম্পিউটার প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
কেমন হবে মেসি-নেইমার জুটি? কেউ ভাবছেন, এই জুটি ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলবে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। আবার কারও ধারণা, এ জুটি মোটেও জমবে না। এক জাহাজে কি দুই ক্যাপ্টেন থাকা সম্ভব? নেইমার চলে আসায় মেসিকে বিক্রি করে দেওয়ার অদ্ভুত প্রস্তাব দিয়ে এই বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন বার্সেলোনার আজীবন সদস্য ও সাম্মানিক সভাপতি ইয়োহান ক্রুইফ। তবে ক্রুইফের ‘ড্রিম টিম’-এর সদস্য ও সাবেক বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলা মোটেও একমত নন তাঁর গুরুর সঙ্গে। বরং মেসি-নেইমার নামের দুর্ধর্ষ এক জুটির প্রত্যাশায় থাকছেন তিনি।আগের দিন মেসিকে বিক্রি করে দেওয়ার চিন্তাটা উড়িয়ে দিয়েছেন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। পরশু স্প্যানিশ দৈনিক মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেপ গার্দিওলাও দিয়েছেন অভিন্ন মত, ‘মেসি-নেইমার জুটি কি সফল হবে? ইতিহাসের সেরা ফুটবলারের সঙ্গে দুর্দান্ত আরেকজন। আমি নিশ্চিত, তারা দুজনেই দারুণ সফল হবে।’কৈশোর-যৌবনের ক্লাব, যেখানে গার্দিওলা ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুবর্ণ সময়টা কাটিয়েছেন। তারপর কোচ হিসেবে সেই ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে এনে দিয়েছেন অকল্পনীয় সাফল্য। দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও তাই বার্সেলোনাকে নিয়ে ভাবতেই পারেন গার্দিওলা। তবে তাঁর মূল ভাবনা এখন বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে। সাবেক কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কেসের অধীনে প্রথম জার্মান ক্লাব হিসেবে ত্রিমুকুটজয়ী বায়ার্নের দায়িত্ব নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি গার্দিওলা। মৌসুম শুরুর আগে প্রস্তুতি হিসেবে তাঁর দল ক্যাম্প করেছে উত্তর ইতালির লেক গার্দায়। সেখানেই সংবাদমাধ্যমে নতুন বায়ার্ন কোচকে দিতে হচ্ছে হাজারো প্রশ্নের জবাব। তাঁর অধীনে বায়ার্নের খেলার ধরন কেমন হবে, সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবেন কি না, বায়ার্ন কি বার্সেলোনার মতো ফুটবল খেলবে কি না ইত্যাদি। তাঁর সময়ে বার্সেলোনায় সাধারণত লিওনেল মেসিকে ‘ফলস নাইন’ হিসেবে খেলতে দেখা গেছে। মেসি নিজে ও তাঁর দল ওই কৌশলেই পেয়েছে আকাশচুম্বী সাফল্য। তবে সপ্তাহ খানেক হলো আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়া বায়ার্ন কোচ এখনো কৌশল নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলছেন না, ‘আমরা একজন স্ট্রাইকার এবং ফলস নাইন নিয়েও খেলতে পারি। ফুটবলারদের শারীরিক অবস্থা বুঝে পরে আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’ তবে যেভাবেই খেলান বায়ার্নের ফুটবলাররা সাফল্যের সঙ্গেই সেটা আয়ত্ত করবে বলে বিশ্বাস তাঁর, ‘আমি লক্ষ করেছি বায়ার্নের ফুটবলাররা খুবই চটপটে। ওরা চার বছরে তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌঁছেছে। এর বেশি কিছু তো বলার দরকার নেই।’কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে দল ছাড়তে চাইছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের জয়ের নায়ক আরিয়েন রোবেন ও মারিও গোমেজ। তবে এসব স্রেফ গুঞ্জন হিসেবেই উড়িয়ে দিয়েছেন নতুন বায়ার্ন কোচ। বরং তাঁর কণ্ঠে দুই শিষ্যের জন্যই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, ‘রোবেন আমার জন্য উপহারের মতো। খুব বুদ্ধিমান ফুটবলার। মারিও গোমেজও খুবই পেশাদার।’ এএফপি।
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে জ্যামাইকায় প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছে ভারত। তবে ত্রিনিদাদপর্বে দুর্দান্ত শুরু করেন শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মার উদ্বোধনী জুটি। টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতকে ১২৩ রানের ভিত্তি গড়ে দেন দুজন। এরপর বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে (৮৩ বলে ১০২) ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১১ রান তোলে ভারত। জবাবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৫৬ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।প্রথম ১৫ ওভারে ৬৫ রান তোলেন শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা। এরপর খানিকটা হাত খোলেন ধাওয়ান। সুনীল নারাইনের ১ ওভারে নেন ১৯, ওয়ানডেতে যা নারাইনের সবচেয়ে খরুচে ওভার। শেষ পর্যন্ত ৬৯ রানে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। টিনো বেস্টকে কাট করতে গিয়ে রোহিত উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন ৪৬ রানে। ওয়েবসাইট।
হরতাল-ধর্মঘটের অনিশ্চয়তা আর ফরমালিন নিয়ে ব্যাপক প্রচারণার কারণে রাজশাহীতে আম নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় আমের চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমে গেছে। অন্যদিকে ৪০ কেজির মণ ধরা হচ্ছে ৫০ কেজিতে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, হরতাল, অবরোধ ও ধর্মঘটের অনিশ্চয়তার কারণে ঢাকার কম ব্যবসায়ী এবার রাজশাহীতে এসেছেন। আমে ফরমালিন প্রয়োগের ব্যাপারেও ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। তাই মানুষ আম কেনার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন। এ কারণে আমের চাহিদা কম। সেই সঙ্গে সরবরাহও বেশি। এ জন্য এবার রাজশাহীর আমের বাজারে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহীর আমের সবচেয়ে বড় বাজার বসে পুঠিয়ার বানেশ্বরে। এখানে রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরাও আম নিয়ে আসেন।গতকাল শুক্রবার বানেশ্বর বাজারে রাজশাহী নগরের কাপাশিয়া এলাকার ব্যবসায়ী আশের আলী বলেন, গত বছরের এই সময়ে তাঁরা এক মণ ফজলি আম দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। অথচ কয়েক দিন আগেও এখানে ৮০০-৯০০ টাকায় এক মণ ফজলি আম বিক্রি করেছেন।বর্তমানে ভালো মানের ফজলি আম দেড় হাজার থেকে এক হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আড়তদারের কাছে বিক্রি করার সময় ৪৬ কেজিতে এক মণ ধরা হচ্ছে। আমার ঝুড়ির ওজন তিন কেজির বেশি না হলেও ধরা হচ্ছে পাঁচ কেজি। এর পরও ঝুড়িপ্রতি কয়েকটি করে আম বেশি নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে মণে প্রায় ১০ কেজি করে আম বেশি দিতে হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা এবার অসহায় হয়ে পড়েছেন।আশের আলী আরও বলেন, তাঁর ২৩০টি গাছ কেনা ছিল। খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। এসব গাছের আম প্রায় তিন লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এ অবস্থার কারণে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা লোকসানে সেই আম বিক্রি করতে হয়েছে। তিনি বলেন, হরতাল-ধর্মঘটে তাঁরা একেবারে শেষ হয়ে গেলেন।
সুযোগ ছিল আঞ্চলিক পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিবা এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার। কিন্তু বাংলাদেশের কিশোর বাস্কেটবল খেলোয়াড়েরা সেটি কাজে লাগাতে পারেনি। ফিবা তৃতীয় অনূর্ধ্ব-১৬ বাস্কেটবলে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে ১০৩-৫৯ পয়েন্টে। টানা তিন ম্যাচ জিতে ভারত হলো আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন। আগামী সেপ্টেম্বরে ইরানে অনুষ্ঠেয় চূড়ান্ত পর্বে খেলবে তারাই। টানা দুই ম্যাচজয়ী বাংলাদেশ কাল ভারতের খেলোয়াড়দের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। প্রথমার্ধে ভারত এগিয়ে গিয়েছিল ৫৮-১৩ পয়েন্টে। এর আগে গ্রুপের অন্য ম্যাচে নেপাল ৪৭-৩৪ পয়েন্টে হারিয়েছে মালদ্বীপকে। খেলার প্রথমার্ধে নেপাল এগিয়েছিল ২১-১৩ পয়েন্টে।
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৭ মিনিট। সব মিলিয়ে সাড়ে ১১ শ মিনিট। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাকল্যে এই সময়টুকুই ব্যাট হাতে কাটিয়েছেন। তবে একটা জায়গায় প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন বিলুপ্তপ্রায় এক প্রজাতির হয়ে। অবশেষে ক্ষান্তি দিলেন ক্রিস মার্টিন।ক্রাইস্টচার্চে মার্টিনের বিদায়ের খবর সুদূর কিংস্টনে বড় এক দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে কোর্টনি ওয়ালশের কাছে। তাঁর শূন্যের রেকর্ড ভাঙার বাস্তব সম্ভাবনা একরকম হারিয়েই গেল! ক্রিকেট রোমান্টিকদের জন্য খবরটি হাহাকারের মতো, এমন একজনের দেখা কী আর মিলবে আদৌ! মার্টিনের নিজেরও উপলব্ধি, ‘আমিই সম্ভবত সেই প্রজাতির শেষ জন, যারা ব্যাটই ধরতে জানে না!’আধুনিক ক্রিকেটে রাগবি ঢুকে গেছে। কোনো কিছুতেই কিছুই না পারলে চলে না, সবাইকেই সবকিছু পারতে হয় কিছু না কিছু। ‘টিপিক্যাল’ বা ‘জেনুইন’ নম্বর ইলেভেন একসময় ক্রিকেটের পরিভাষায় ছিল বহুল প্রচলিত। এখন শুনতেই পাওয়া যায় না। টি-টোয়েন্টির এই যুগে ব্যাটিং অর্ডারের শেষজনকেও ব্যাটিং জানতে হয়। পেশাদারির আবরণ, হাজারো নিয়মের হাতকড়া, ম্যাচ রেফারির খড়্গ আর সংবাদমাধ্যমের কড়া নজরদারিতে খেলার বিনোদনের ব্যাপারটি এমনিতেই হারিয়ে যাওয়ার জোগাড়। মার্টিনের বিদায়ে শেষ হয়ে গেল নির্মল বিনোদনের বড় এক উৎসও।টিপিক্যাল টেলএন্ডারের ব্যাটিং-বিনোদনের বড় বিজ্ঞাপন ছিলেন মার্টিন। নিউজিল্যান্ড তো বটেই ক্রিকেটবিশ্বের যেকোনো প্রান্তে মার্টিন ব্যাটিংয়ে নামলেই গ্যালারিতে হুল্লোড় উঠত, টিভি পর্দার সামনে নড়েচড়ে বসতেন সবাই। তাঁর ব্যাটিং হাসি ফোটাত ভীষণ গোমড়া মানুষটির মুখেও। কালে-ভদ্রে এক রান করলেই দর্শকের এমন অভিবাদন পেতেন, অনেকে যা সেঞ্চুরি করেও পায় না! নিজেও উপভোগ করতেন নিজের এই ব্যর্থতা। ক্যারিয়ারে একবারই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, সেদিন ১০ রান করার পর উঁচিয়ে ধরেছিলেন ব্যাট, যেন মাত্রই করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি! বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১২ রানের সেই ইনিংসটির একটি ছবি বড় করে বাঁধিয়ে রেখেছেন বাড়ির ড্রয়িংরুমে! তাঁর একসময়কার নতুন বলের জুটি ইয়ান ও’ব্রায়েন জানাচ্ছেন, ‘মার্টিনের এক জোড়াই ব্যাটিং কেডস। সেগুলো এত নতুনের মতো আছে যে আরেক জোড়া লাগেইনি!’ ওয়ালশ-মার্টিনদের ব্যাটিংয়ের মজাটা ব্যাটিংয়ের ধরনে। ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে জুড়ি নেই তাঁদের, অথচ নিজেরা ব্যাটিংকে বানিয়ে ফেলেছিলেন পৃথিবীর কঠিনতম কাজে! ক্রিকেটের চিরন্তন রহস্য এটি। মজাটাও এখানে। ক্রিকেট সবাইকে অনাবৃত করে দেয়। ফুটবলে রামোস-পিকেদের কখনো ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতে হয় না বা মেসি-রোনালদোদের ডিফেন্ডার হিসেবে। কিন্তু ক্রিকেটে দলের সেরা বোলারকেও ব্যাটিং করতে হয়।দুই-একজন মার্টিন-ওয়ালশদের দেখাও তাই একসময় প্রতিটি দলেই মিলত। ব্যাটিংয়ের ‘অ আ ক খ’ না জেনেও যাঁরা দীর্ঘদিন খেলে গেছেন ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে। নিউজিল্যান্ডের স্ট্রাইক বোলারের ব্যাটন যাঁর হাত থেকে নিয়েছিলেন মার্টিন, সেই ড্যানি মরিসন ব্যাটিংয়েও সত্যিকারের পূর্বসূরি। ওয়ালশের শূন্যের রেকর্ডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন মরিসনও! ভগবৎ চন্দ্রশেখরের সৌজন্যে যেমন ক্রিকেট কুইজের প্রিয় প্রশ্ন ছিল, ‘২০০ উইকেট পাওয়া কোন বোলারের উইকেটসংখ্যা রানের চেয়ে বেশি?’  ৫৮ টেস্টে ২৪২ উইকেট পাওয়া চন্দ্রশেখরের টেস্ট রান ১৬৭, ব্যাটিং গড় ৪.০৭। এই লেগস্পিনার ব্যাট হাতে নামার সময়ই সে সময়ের হিন্দি ধারাভাষ্যকাররা বলতেন, ‘ইন্ডিয়া কা পারি খতম হো গয়া!’ বাংলাদেশ দলেও ছিলেন এমন একজন। বাঁহাতি পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম ব্যাট হাতে নামতেই সতীর্থরা পোশাক পাল্টে মাঠে নামার জন্য তৈরি হয়ে যেতেন। পরে অবশ্য খানিকটা ব্যাটিং শিখে নেন মঞ্জুরুল, বুকে-পিঠে আঘাত সয়ে একটা পাশ অক্ষত রেখেছেন অনেকবারই।গ্লেন ম্যাকগ্রার টেস্ট রান ও উইকেটের জোর লড়াই চলছিল একসময়। ২০০৪ সালে ব্রিসবেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি এগিয়ে দেয় রানকে। ‘পিজিওন’ ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ৬৪১ রান ও ৫৬৩ উইকেটে। নব্বইয়ের দশকে ইংল্যান্ড পেয়েছে ফিল টাফনেল, ডেভন ম্যালকম, পিটার সাচ, অ্যালান মুলালিদের...।খুব বেশি দিন হয়নি, টেলএন্ডারদের কাছে দল কিছু প্রত্যাশাও করত না। এখন সেটা ভাবাও ‘পাপ’। মার্টিনের উত্তরসূরি হতে পারতেন মন্টি পানেসার। কিন্তু সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে ইংল্যান্ডের এই বাঁহাতি স্পিনার কেতাদুরস্ত ব্যাটিং শিখে গেছেন। মার্টিনের বিদায়ের পর ‘টিপিক্যাল নম্বর ইলেভেন’ হয়তো থাকবে শুধু ক্রিকেটীয় লোকগাথায়। ৩৯ ছুঁই ছুঁই বয়স একজন ফাস্ট বোলারের জন্য যথেষ্টই বেশি। তবু অনেকেই হয়তো বলতে পারেন, মার্টিনের ক্যারিয়ার আরেকটু লম্বা হলে ক্ষতি কী হতো! তাঁর শেষ ইনিংসটা হয়ে থাকল যেন এই প্রজাতির শেষেরই প্রতীকী—কোনো বল না খেলেই রানআউট!সময়ের থাবা হয়তো আসতে দেবে না আর কোনো মার্টিনকে। আর উপভোগ করা হবে না ব্যাটিং না-জানাদের ব্যাটিংয়ের স্বাদ!
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার তিনটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক মিটার লাগিয়ে দেওয়ার নামে অতিরিক্ত ৪০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২-এর নবাবগঞ্জ এলাকার পরিচালক মাহমুদুর রহমান এই টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর প্রকৌশলী মো. বাহার উদ্দিন বলেন, রাজশাহী-রংপুর গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কাঁচদহ, বোয়ালমারী ও কৃষ্ণপুর গ্রামে চলতি জুলাই মাসের মধ্যে সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হবে।কাঁচদহ, বোয়ালমারী ও কৃষ্ণপুর গ্রামের একাধিক গ্রাহক বলেন, ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর তিনটি গ্রামে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা হয়। ২০১১ সালে ওই খুঁটিতে বৈদ্যুতিক তার টানা হয়। ২০১২ সালের শেষের দিকে গ্রাহকদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার টেনে রাখা হয়। মিটার লাগানোর জন্য গ্রাহকেরা অনেক আগেই বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে ৬২০ টাকা করে দিয়েছেন। এখন আবার মিটার লাগিয়ে দেওয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।কাঁচদহ গ্রামের গ্রাহক সাহেব আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, বাড়ি ও দোকানে মিটার লাগানোর কথা বলে বোয়ালমারীর রুহুল আমিন ও খোরশেদ আলম তাঁদের কাছ থেকে নতুন করে এক হাজার ২০০ টাকা নিয়েছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক মাহমুদুর রহমান, বোয়ালমারী গ্রামের রুহুল আমিন, কাঁচদহ গ্রামের খোরশেদ আলমসহ কয়েকজন ৫০০ টাকা দিলে মিটার লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে এলাকায় প্রচার চালান। এ কথা শুনে কেউ ৪০০ টাকা আবার কেউ ৫০০ টাকা করে তাঁদের দেন। কিন্তু এর পরও মিটার লাগিয়ে দেওয়া হয়নি।খোরশেদ আলম বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানের কথায় কয়েকজন গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁকে দিয়েছি। আমি আর কিছু বলতে পারব না।’ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মিটার দেওয়ার কথা বলে আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। এটা মিথ্যা অভিযোগ।’দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মহাব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। কারা টাকা নিয়েছেন, কে টাকা দিয়েছেন—সেটি তাঁদের ব্যাপার। আমাকে কোনো প্রশ্ন করবেন না।’
বিজ্ঞাপন বা পণ্যের শুভেচ্ছাদূত যেটাই হোক না কেন, এখনো ক্রিকেটারদেরই চাহিদা থাকে সবার ওপরে। কিন্তু ক্রিকেটারদের টেক্কা দিয়ে একটা জায়গায় উঠে এলেন একজন হকি খেলোয়াড়। বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের ডিফেন্ডার আসাদুজ্জামান চন্দন সম্প্রতি মডেল হয়েছেন গ্রামীণফোনের নতুন বিজ্ঞাপন ‘সব বাধা পেরিয়ে’তে। বিজ্ঞাপনটি শিগগিরই প্রচারিত হবে বলে জানিয়েছেন চন্দন, ‘আমাকে বেছে নেওয়ার জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ। তবে এটা আমার একার সম্মান না। এটা আমাদের হকি দলেরই সম্মান।’ হকির সাম্প্রতিক সাফল্যের কারণেই গ্রামীণফোনের এই আগ্রহ বলে মনে করেন তিনি। ফার্গির পরামর্শআগে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভেঙে পড়তেন মারে। কিন্তু এখন আর ভেঙে পড়েন না, বরং চাপকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছেন। রহস্য কী? অ্যালেক্স ফার্গুসনের উপদেশ। গত বছর ইউএস ওপেনের সময় দুই স্কটিশের দেখা নিউইয়র্কে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচই স্বদেশি টেনিস খেলোয়াড়কে শিখিয়ে দিয়েছেন চাপ সামলানোর মন্ত্র। মারে ফলও পান হাতেনাতেই। ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম হিসেবে জেতেন ওই ইউএস ওপেন। উইম্বলডনের শেষ আটে ফার্নান্দো ভারদাসকোর সঙ্গে পাঁচ সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরও কথা বলেছেন দুজনেই। সেমিফাইনাল বা ফাইনালে মারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য এটি নিশ্চয়ই একটি বার্তা! ওয়েবসাইট। মানচিনির কষ্টআগের মৌসুমেই শিরোপা জিতেছিলেন। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে রানার্সআপ। রবার্তো মানচিনিকে তবু ব্যর্থ মনে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি কর্তৃপক্ষের। কী আর করা, বিদায়! গত সাড়ে তিন বছরে নিজের হাতে সব ঢেলে সাজানোর পর এই ভাবে ছেড়ে যাওয়াটা কষ্টকর ছিল মানচিনির কাছেও। সে কারণেই কিনা সিটির আরব ধনকুবের মালিকদের ওপর রাগ এখনো পড়েনি। আর কিছু না হোক, অন্তত ৪০ বছর পর সিটিকে প্রথম লিগ জেতানোর কথাটা ভেবেও তো মানচিনির বিদায়কে আরেকটু সম্মানজনক করতে পারত তারা! এএফপি।
বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনি—যেন এমন ধনুর্ভঙ্গ পণ করেই কোর্টে নেমেছিলেন দুজন। কিন্তু একজনকে তো হারতেই হতো। উইম্বলডন টেনিসের সেমিফাইনালে শেষ পর্যন্ত হেরেছেন আর্জেন্টাইন হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো। তবে হারের আগে বদলে দিয়ে গেলেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে সমানে সমানে লড়েছেন ৪ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ধরে। পাঁচ সেটের মহাকাব্যিক লড়াইয়ে জোকোভিচ ৭-৫, ৪-৬, ৭-৬ (৭/২), ৬-৭ (৬/৮), ৬-৩ গেমে দেল পোত্রোকে হারিয়ে উঠে গেলেন উইম্বলডনের ফাইনালে। প্রায় পৌনে পাঁচ ঘণ্টার লড়াইটা উইম্বলডনের সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের ম্যাচ।এর আগের রেকর্ডটি ছিল বরিস বেকার ও ইভান লেন্ডলের মধ্যে, ১৯৮৯ সালে। তাঁদের ম্যাচটি চলেছিল ৪ ঘণ্টা ১ মিনিট ধরে। আর কাল ফলাফল নির্ধারণী পঞ্চম সেটে যখন ২-২-এ সমতা ছিল ম্যাচটি, তখনই পেরিয়ে গিয়েছিল ৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট।ক্যারিয়ারের সপ্তম গ্র্যান্ড স্লাম জিততে এখন আর মাত্র একটি জয় দূরে জোকোভিচ। রোববারের ফাইনালে জোকোভিচের মুখোমুখি হবেন অ্যান্ডি মারে বা ইয়ার্জি ইয়ানোভিচ। এএফপি।হাঁটুতে চোট পাওয়া দেল পোত্রো কাল পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে নেমেছিলেন খেলতে। এমন অবস্থায় টেনিসের শীর্ষ তারকার সঙ্গে যে এভাবে সমানে লড়াই করবেন, সেটা ছিল অবিশ্বাস্যই! প্রথম সেট জেতেন জোকোভিচ ৭-৫ গেমে। পরেরটি ৪-৬-এ জিতে সমতায় ফেরান দেল পোত্রো। টাইব্রেকারে গড়ায় তৃতীয় ও চতুর্থটি। তবে তৃতীয়টি জোকোভিচ জিতলেও পরেরটি আবার জেতেন দেল পোত্রো। ফলাফল নিষ্পত্তির শেষ সেটে অবশ্য খুব বেশি সুযোগ দেননি জোকোভিচ। ৬-৩ গেমে ম্যাচ শেষ করে শেষ হাসি হেসেছেন সার্বিয়ান তারকা। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত জোকোভিচ বলছিলেন, ‘আমার খেলা অন্যতম সেরা একটা ম্যাচ ছিল এটি, অবশ্যই অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর ম্যাচও।’কাল অন্য সেমিফাইনালে লড়ছিলেন অ্যান্ডি মারে ও ইয়ার্জি ইয়ানোভিচ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুজনের খেলা চলছিল।
গৌরব আর ঐতিহ্যের ৬০ বছর পূর্ণ করে আজ ৬ জুলাই ৬১ বছরে পা দিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালের এই দিনে মাত্র ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তরাঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠ।প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। একই বছরের ৬ জুলাই ইৎরাত হোসেন জুবেরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় পদ্মাপাড়ের বড় কুঠি ও রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬১ সালে বড় কুঠি থেকে নয়নাভিরাম মতিহারের এই সবুজ চত্বরে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। রাজশাহী শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটি ৩০৩ দশমিক ৮০ হেক্টর জমিতে স্থাপিত।গৌরবের ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছে নানা কর্মসূচি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন-ফেস্টুন অবমুক্তকরণ করা হবে। সকাল সোয়া ১০টায় ৬০ বছর পূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করবেন উপাচার্য মুহমঞ্চদ মিজানউদ্দিন। সকাল সাড়ে ১০টায় সিনেট ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ, শোভাযাত্রা ও বেলা ১১টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ।
ঘাসে অ্যালার্জি সাবিনা লিসিকির। ঘাসের সংস্পর্শে এলেই হাঁচি পায় তাঁর। কিন্তু জার্মান মেয়েটির ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় সাফল্য এল সেই ঘাসের কোর্টেই (উইম্বলডন)।
মারিওন বারতোলি, না সাবিনা লিসিকি—কে জিতবেন এবারের উইম্বলডন? উইম্বলডন শুরুর আগে প্রশ্নটার উত্তরে কেউ যদি এই দুজনের কারও নাম বলে থাকেন, তবে নির্ঘাত তিনি নস্ট্রাডামাসের উত্তরসূরি বনে গেছেন। সেরেনা-শারাপোভা-আজারেঙ্কাদের পেছনে ফেলে উইম্বলডন জিতে যাবেন বারতোলি-লিসিকিদের একজন—খোদ এই দুজনও এই স্বপ্ন দেখেছেন কি না বলা মুশকিল। যে বারতোলি ২০১৩ সালে টানা দুটি ম্যাচ জিততে পারেননি, তিনিই কিনা টানা ছয়টি ম্যাচ জিতে উইম্বলডনের ফাইনালে। একসময় গুরুতর চোটে যাঁর আবার হেঁটে বেড়ানোটাই সংশয়ে পড়েছিল সেই লিসিকিও ফাইনালে।ক্যারিয়ারের সেরা টেনিস খেলেই আজ ফাইনালে মুখোমুখি এই দুজন। জার্মান-ফরাসি দ্বৈরথে বিজয়ী পাবেন প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের স্বাদ।ফাইনালে ওঠার পথ পুরোপুরিই ভিন্ন ছিল বারতোলি-লিসিকিদের। পঞ্চদশ বাছাই বারতোলির সামনে পড়া সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ স্লোন স্টিভেনসও বাছাই তালিকায় ছিলেন ১৭ নম্বরে। অবশ্য ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা ও মারিয়া শারাপোভার আগেভাগে বিদায়ই বারতোলির পথ করেছে পরিষ্কার। তার পরও অঘটনের এই উইম্বলডনে একটি সেটও না হেরেই ফাইনালে ২৮ বছর বয়সী বারতোলি। এএফপি।২৩তম বাছাই লিসিকিকে পেরিয়ে আসতে হয়েছে সেরেনা উইলিয়ামস ও আগ্নিয়েস্কা রাদভানস্কার মতো হেভিওয়েট খেলোয়াড়দের বাধা। হারিয়েছেন গ্র্যান্ড স্লামজয়ী দুই খেলোয়াড় ফ্রান্সেচকা শিয়াভোনে ও সামান্থা স্টোসুরকেও। স্টেফি গ্রাফের পর প্রথম জার্মান মেয়ে লিসিকি কি পারবেন জার্মানির গ্র্যান্ড স্লাম খরা কাটাতে?বারতোলি জিতলে খরা কাটবে ফ্রান্সেরও। ২০০৬ সালে অ্যামেলি মরেসমোর উইম্বলডন জয়টাই হয়ে আছে গ্র্যান্ড স্লামে ফ্রান্সের শেষ সুখস্মৃতি। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে বারতোলি জিতে গেলে সেখানে থাকবে মরেসমোরও অবদান। বাবা ওয়াল্টারকে সরিয়ে মরেসমোকে কোচ করার পরই যে ফর্ম ফিরে পেয়েছেন ২০০৭ উইম্বলডন ফাইনালিস্ট বারতোলি। ছয় বছর আগের সেই স্মৃতি এবার আর ফিরিয়ে আনতে চান না বারতোলি, ‘আমি কিছু কঠিন সময় পার করেছি, তবে প্রতিবারই কঠোর অনুশীলন ও আত্মবিশ্বাসের কারণে ফিরে এসেছি। আমার মনে হচ্ছে এই দৃষ্টিভঙ্গির পুরস্কার আমি পাবই এবং সেটা এই বছরই।’লিসিকিরও আছে প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ গল্প। ২০১০ সালে চোটে পড়ে ক্যারিয়ারটাই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়ান ওয়েলসে গোড়ালির চোটে পড়ে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হয়েছে মাসের পর মাস। ওয়াইল্ডকার্ড নিয়ে ২০১১ উইম্বলডনে খেলতে এসেই অবশ্য হইচই ফেলে দিয়েছিলেন লিসিকি। উঠে গিয়েছিলেন সেমিফাইনালে। ক্যারিয়ারের সেই কঠিন সময়টাই যেন তৈরি করেছে আজকের লিসিকিকে। ২৩ বছর বয়সীর কাছে আজও অনুপ্রেরণা ওই ঘটনা, ‘আমি সব সময়ই বিশ্বাস ধরে রাখি। যা-ই ঘটুক না কেন। আমি এখনো মনে করতে পারি ডাক্তার বলেছিল ছয় সপ্তাহ আমাকে ক্রাচে ভর করে হাঁটতে হবে। ওই সময়টা আমাকে মানুষ ও খেলোয়াড় হিসেবে অনেক শক্তিশালী করেছে। আবার হাঁটতে শেখার পর থেকে আমি জানি যেকোনো কিছুই ঘটা সম্ভব।’ সেটা সম্ভব বলেই ছোটবেলাতেই উইম্বলডনের প্রেমে পড়া লিসিকি আজ দাঁড়িয়ে স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে, সেই উইম্বলডনেই।
চাঁদা না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা তমিজ উদ্দিন লোকজন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চককালিকাপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবদুল বারীকে লাঞ্ছিত করেছেন। এ সময় তাঁরা অধ্যক্ষের মোটরসাইকেল ও কার্যালয়ের চাবি নিয়ে গেছেন।আবদুল বারী বলেন, ‘উপজেলার চামারি ইউনিয়নের চককালিকাপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তমিজ উদ্দিন কয়েক দিন ধরে আমাকে টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। অবশেষে লাঞ্ছিত করে ছাড়লেন। আমি বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকেসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও ও থানার ওসি কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। দেখা যাক, তাঁরা কী ব্যবস্থা নেন।’তমিজ উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অধ্যক্ষের কাছে টাকা পাব। তাই তাঁর মোটরসাইকেলটি নিয়ে এসেছি।’ তবে পাওনা টাকার কোনো লিখিত প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে তমিজ উদ্দিন ও তাঁর পাঁচ ক্যাডার অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যান। তাঁরা আবদুল বারীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। অধ্যক্ষ তাঁদের টাকা দিতে অসমঞ্চতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা অধ্যক্ষকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ও হত্যার হুমকি দেন। এ সময় অধ্যক্ষের কাছ থেকে কার্যালয়ের চাবি ও তাঁর মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেন।
নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা গ্রামে গতকাল শুক্রবার বজ্রপাতে স্ত্রী নিহত ও স্বামী আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম ঢাঙ্গী বেগম (৪৫)। তিনি একই গ্রামের জহির উদ্দিনের স্ত্রী।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জহির উদ্দিন (৫০) ও ঢাঙ্গী বেগম বাড়ির উঠানে বসে ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ঢাঙ্গী বেগম মারা যান। স্থানীয় লোকজন জহির উদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রউফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আড়াই বছর ম্যানচেস্টার সিটিতে একসঙ্গে খেলেছেন। মারিও বালোতেল্লি ও কার্লোস তেভেজের মধ্যে গড়ে উঠেছিল দারুণ দোস্তি। দুজনেই ছিলেন সিটির সাক্ষাৎ ‘উপদ্রব’। মাঠ, মাঠের বাইরে—দুজনে নানা বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে গেছেন পাল্লা দিয়ে! শেষ পর্যন্ত দুজনকেই ছেড়ে দিয়েছে সিটি। গত জানুয়ারিতেই বালোতেল্লি যোগ দিয়েছেন এসি মিলানে। সিটির সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে তেভেজ গত সপ্তাহে নাম লিখিয়েছেন জুভেন্টাসে। কিন্তু তেভেজকে মিলানেই সতীর্থ হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন বালোতেল্লি। দুই বন্ধু মিলে জুটি বাঁধতে চেয়েছিলেন নতুন করে।তেভেজকে মিলানে আসতে উৎসাহও জুগিয়েছিলেন বালোতেল্লি। কিন্তু তেভেজ তাঁর কথা শোনেননি। স্পোর্টমিডিয়াসেটকে ইতালিয়ান স্ট্রাইকার নিজেই বলেছেন, ‘আমরা শক্তিশালী। কিন্তু ইউরোপিয়ান পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে দলের শক্তি বাড়াতে আরও জনবল দরকার। তেভেজ আমার বন্ধু—আমি তাকে মিলানে আসতে বলেছিলাম। সে তা শোনেনি। জুভেন্টাসে গেছে। আমি জুভেন্টাসকে ভয় পাই না। আমি সব ক্লাবকেই শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কোনো ক্লাবকেই ভয় পাই না।’বন্ধু হয়েও তেভেজ যখন কথা শোনেননি, বালোতেল্লি এর প্রতিশোধ নিতে চান অন্যভাবে, ‘যদি মাঠে কখনো তার মুখোমুখি হই, আমি তার পাশ থেকেই বল নিয়ে যাব!’ গত মৌসুমেই জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে প্যারিস সেন্ট-জার্মেইয়ের (পিএসজি) কাছে বিক্রি করে দিয়েছে মিলান। কিন্তু ফরাসি ক্লাবটি থেকে সুইডিশ স্ট্রাইকারকে মিলান আবার ফিরিয়ে আনছে বলেই গুঞ্জন। এই গুঞ্জন বাস্তব হয়ে ওঠে কি না, সেই নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু বালোতেল্লি আগাম অভিনন্দনই জানিয়ে রাখলেন ফ্রেঞ্চ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে, ‘ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে চুক্তি হলে আমার ভালোই লাগবে।’ ওয়েবসাইট।
জাতীয় দলের জন্য একজন ফিটনেস ট্রেনারের অত্যাবশ্যকীয় চাহিদাও পূরণ করল বাফুফে। ডি ক্রুইফ, রেনে কোস্টারের সঙ্গী হয়ে সাফ ফুটবল ক্যাম্পে যোগ দিলেন ইয়ামালি মোহাম্মেত। তুর্কি বংশোদ্ভূত এই ডাচ ফিটনেস ট্রেনার কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে বললেন নানা বিষয়ে l আপনার সম্পর্কে প্রথমে শুনতে চাই...ইয়ামালি মোহাম্মেত: আমি তুর্কি বংশোদ্ভূত। জন্ম আমস্টারডামে। বয়স ২৪। এর আগে রেনে কোস্টারের সঙ্গে কাজ করেছি। সেই সুবাদেই রেনের আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশে এলাম।l এর আগে কোথায় কাজ করেছেন?ইয়ামালি: হল্যান্ডের আলমেরি শহরে। সেখানে আয়াক্সের একটা একাডেমি আছে। তবে আমি আয়াক্সের হয়ে কাজ করিনি। ওই একাডেমিতেই স্থানীয় দ্বিতীয় বিভাগের একটা পেশাদার দলে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।l আপনি ফিটনেস ট্রেনারের মতো পেশা কেন বেছে নিলেন?ইয়ামালি: আমি ফুটবল খেলতাম। তবে সেটি অপেশাদার। অল্প বয়স থেকেই শারীরিক ফিটনেস নিয়ে আমার আগ্রহ। আমস্টারডামের একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্যাল থেরাপির ওপর ডিগ্রি নিয়েছি। আসলে ফিটনেস নিয়ে কাজটা উপভোগ করি। তাই এটিই বেছে নেওয়া। এখন তো কাজটা আমার পেশাই হয়ে গেছে।l এই কদিন কেমন দেখলেন বাংলাদেশের ফুটবলারদের?ইয়ামালি: এখানে আসার আগে বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। রেনে কিছু ধারণা দিয়েছিল। সেটা নিয়েই এসেছি। এসে দেখলাম, এখানকার খেলোয়াড়দের ফিটনেসের মান একটু নিচের দিকে। অর্থাৎ যতটা থাকা দরকার তা নেই। তবে কাজ করতে করতে এটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি।l বাংলাদেশের ফুটবলাররা ফিটনেস নিয়ে সচেতন নন। আপনার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেকে অভ্যস্ত হতে পারছে না শুনেছি। এটাকে কীভাবে দেখছেন?ইয়ামালি: এমনটা হতেই পারে। শুরুতে অভ্যস্ত হতে সবারই কমবেশি সমস্যা হয়। তবে আমি চাইব, ছেলেরা তাড়াতাড়িই ফিটনেসের ব্যাপারগুলো রপ্ত করে ফেলবে। একজন পরিপূর্ণ ফুটবলার হতে চাইলে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। সেটাই আমি খেলোয়াড়দের বলেছি।l এমনিতে কি ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা দেখছেন খেলোয়াড়দের মধ্যে?ইয়ামালি: (হা হা) সে রকম কিছু নয়। সবাই ভালোভাবেই নিয়েছে বিষয়টা। তবে আগেই যেটা বললাম, অভ্যস্ত হওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের একটু সময় দিতে হবে। কিছু খেলোয়াড়কে আরও সিরিয়াস হতে হবে। এখানে ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।l আজ দেখলাম খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা নিলেন। তা ফলাফল কী?ইয়ামালি: হ্যাঁ, আজ বিপ টেস্ট নিলাম। রাতে ফলাফল নিয়ে বসব। মনে হচ্ছে খুব খারাপ কিছু হবে না।l বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আপনার সঙ্গে চুক্তি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করার আশা রাখেন?ইয়ামালি: দেখুন, ফুটবল ফেডারেশন চুক্তি করলে আমি সানন্দেই রাজি। কারণ, আমি এ দেশে কাজ করতে এসেছি। এবং রেনের সঙ্গে যেহেতু আগে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে, তাই আশা করছি আমরা একটা টিম হয়ে কাজ করতে পারব। যেটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।l আপনার পরিবারে আর কেউ খেলাধুলায় আছে?ইয়ামালি: আমার এক বছরের বড় এক ভাই আছে, ছোট এক বোন আছে। তবে তারা কেউ খেলায় আসেনি। আমার এক কাজিন কিক-বক্সার। ওর খেলা মাঝেমধ্যে দেখি। তবে আমি ফুটবলের একজন পাঁড় ভক্ত। তাই ফুটবলের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধলাম।:n:নিষিদ্ধ ক্যামেরুন:h:প্রথমে আসে একটা সুসংবাদ। কিন্তু সেটা উদ্যাপনের জন্য ১৫ মিনিটের বেশি সময় পেল না ক্যামেরুন। তারপরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া দুঃসংবাদ—সব ধরনের ফুটবল থেকে মিলা-ইতোর দেশকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা! ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্ত মেনে এখন যদি পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারে ক্যামেরুনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফেকাফুট) তাহলে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বাকি ম্যাচগুলো খেলাও অনিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।গত ৯ জুন ক্যামেরুনের বিপক্ষে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের এক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞায় থাকা একজন ফুটবলারকে মাঠে নামিয়েছিল টোগো। ওই ম্যাচে তারা ২-০ গোলে জিতেছেও ক্যামেরুনের বিপক্ষে। কিন্তু ব্যাপারটা ধরা পড়ার পর পরশু এক বিবৃতিতে টোগোর ৩ পয়েন্ট কেটে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ফিফা। মাঝখান থেকে হেরেও লাভ হয়ে যায় ক্যামেরুনের। কিন্তু এই সুসংবাদের ১৫ মিনিটে পরই অন্য এক বিবৃতিতে ফিফা জানায়, দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ওপর সরকারের অনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ক্যামেরুনকে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই সময়ে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কোনো ফুটবলই খেলতে পারবে না ক্যামেরুন। তবে ফিফা শর্ত দিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ফেকাফুট চালনার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করার। ওই বিশেষ কমিটির কাজ হবে আগামী বছর মার্চের মধ্যে ফেকাফুটে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন করা। কমিটি গঠিত হলে ফুটবলেও ফিরতে পারবে ক্যামেরুন।বাছাইপর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে হলে এ ছাড়া এখন আর বিকল্পও নেই ক্যামেরুনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের হাতে। এএফপি।
ভেবেছিলেন ক্রিকেট বোর্ড তাঁর পাশে দাঁড়াবে। এই দুর্দিনে কথা বলবে তাঁর হয়ে। সেটা তো হলোই না, উল্টো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও আজীবন নিষিদ্ধ করল দানিশ কানেরিয়াকে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে আগেই এই নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কানেরিয়ার ক্যারিয়ার তাই শেষই বলা চলে!২০০৯ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্সের হয়ে ৪০ ওভারের একটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। নিজে কখনো স্বীকার না করলেও তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সেই শাস্তির পরে আপিল করেছিলেন কানেরিয়া। কিন্তু সেটাও ফিরিয়ে দিয়ে উল্টো ইসিবি তাঁকে অনুরোধ করেছিল প্রকাশ্যে নিজের দোষ স্বীকার করতে। পাকিস্তানি লেগ স্পিনার ভেবেছিলেন, এই দুঃসময়ে দেশের ক্রিকেট বোর্ড অন্তত তাঁর পাশে দাঁড়াবে, যেভাবে পিসিবি দাঁড়িয়েছিল মোহাম্মদ আমিরের পাশে। কিন্তু গতকাল এক বিবৃতিতে পিসিবি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ইসিবির দেওয়া আজীবন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছে তারাও। পাকিস্তানেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। দেশ ও দেশের বাইরে ক্রিকেট খেলার আর কোনো আশাই রইল না কানেরিয়ার। পিটিআই।
পরনে নীল ট্রাউজার আর নিউজিল্যান্ডের কালো অনুশীলন জার্সি। দাড়ি কামিয়ে মাঝে কদিনের জন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে পড়ুয়া ছাত্র বনে গিয়েছিলেন। এখন আবার সেই শ্মশ্রুমণ্ডিত সৌম্য চেহারা। দুই হাতে দুটি ক্রাচে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এলেন অকল্যান্ডের সংবাদ সম্মেলনে। স্বভাবসুলভ শান্ত ভঙ্গি আর ভরাট কণ্ঠে বললেন, ফিরিয়ে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের চুক্তি!নিজ দেশের বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি ফিরিয়ে দেওয়ার রেওয়াজটা পুরোনো হয়ে গেছে। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফই প্রথম ‘মুক্ত খেলোয়াড়’ হয়ে পথ দেখান। ক্রিকেট-বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় নির্বিঘ্নে খেলার জন্য গেইল-পোলার্ডরা বোর্ডের চুক্তিতে সই করেননি। বোর্ডের চুক্তি ফিরিয়ে দিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো। কিপটে বোলিং, কার্যকরী ব্যাটিং, সঙ্গে নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা মিলিয়ে টি-টোয়েন্টির বাজারে ভেট্টোরির চাহিদাও কম নয়। তবে সেই বাজারে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় পণ্য বানাতে নয়, ভেট্টোরি চুক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন বরং সততা ও দায়বদ্ধতা থেকেই!চোট নিয়ে লম্বা ভোগান্তি যাচ্ছে সাবেক অধিনায়কের। টেস্ট খেলেন না প্রায় এক বছর। আড়াই বছর পর প্রথম ওয়ানডে খেললেন সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, সেখানেও চোটে ভুগেছেন। গত ১৯ জুন তাই লন্ডনে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন একিলিস টেন্ডনে। অন্তত আগামী ছয় মাস থাকতে হবে মাঠের বাইরে, সময়টা বাড়তে পারে আরও। এই দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকা নিশ্চিত জেনেও চুক্তি করাটা নৈতিক মনে হয়নি ভেট্টোরির কাছে, ‘চোট থেকে সেরে উঠতে যতটা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে এবং আবার কবে খেলতে পারব এটা নিয়ে যতটা অনিশ্চয়তা, তাতে এ বছর চুক্তিতে থাকা আমার কাছে ঠিক মনে হয়নি। আগামী ছয় মাসে কঠোর পরিশ্রম করে চেষ্টা করব মাঠে ফিরতে। সামনের মাসগুলোয় পুনর্বাসন-প্রক্রিয়ায় মন দেব।’মাঠে ফেরার তাড়নাতেই পরিষ্কার, হাল ছাড়ছেন না নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের একসময়কার সর্বেসর্বা ব্যক্তিটি। যদিও বারবার চোটাঘাতে যথেষ্টই বিরক্ত। তবে এর শেষ দেখতে চান ৩৪ বছর বয়সী স্পিনার, ‘এই চোট থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়ার শেষ প্রচেষ্টা এই অস্ত্রোপচার। আমার সার্জনেরও বিশ্বাস, এবার সব ঠিক হয়ে যাবে। দেড় বছর ধরে চোটের সঙ্গে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। এক দিক থেকে মাঠে নামার ক্ষুধাটাও কমিয়ে দেয় এটা। তবে চোটটাই যেহেতু মূল কারণ, এটা ঠিক হয়ে গেলে কে জানে হয়তো ক্ষুধাটা ফিরে আসবে।’‘সততা ও সাহসী সিদ্ধান্তের’ জন্য ভেট্টোরিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁকে খুব দ্রুত ফিরে পাওয়ার আশা করছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট। ক্রিকেটারদের সংগঠনের প্রধান হিথ মিলস বলেছেন, ‘আরও একবার নিজের জাত চেনাল ভেট্টোরি।’ ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে, তবে মিলসের কথাটাই আসলে শেষ কথা। এই সিদ্ধান্তে ভেট্টোরির প্রতি ক্রিকেট-বিশ্বের শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যাবে আরও। ওয়েবসাইট।
এশিয়ান ইনডোর গেমসের মিশ্র দলগত র‌্যাপিড দাবায় ৫ খেলায় (২ জয় ও ১ ড্র) ৫ পয়েন্ট পেয়ে একাদশ স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে অনুষ্ঠানরত টুর্নামেন্টে তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৩.৫-০.৫ পয়েন্টে হারায় জাপানকে। চতুর্থ রাউন্ডে ভারতের কাছে হার ০.৫-৩.৫ পয়েন্টে। পঞ্চম রাউন্ডে বাংলাদেশ ড্র (২-২) করে উজবেকিস্তানের সঙ্গে। এই ইভেন্টে চীন সোনা, ভারত রুপা ও ভিয়েতনাম ব্রোঞ্জ জিতেছে।
ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কাল শুরু হয়েছে আন্তজেলা মহিলা ব্যাডমিন্টন। উদ্বোধনী দিনের মহিলা এককে জিতেছেন বাগেরহাটের ক্যামেলিয়া, মানিকগঞ্জের ইয়াসমিন, রাজবাড়ীর রূপালি, নওগাঁর স্বর্ণা, ঝিনাইদহের রানি, রংপুরের রোজিনা, সিরাজগঞ্জের অন্তরা, মেহেরপুরের রুকাইয়া, সিরাজগঞ্জের আল্পনা, নেত্রকোনার  আফসানা, চুয়াাডাঙ্গার হাফিজা ও লালমনিরহাটের ফয়জুন্নেসা। সারা দেশের ২০টি জেলা থেকে অংশ নিচ্ছেন ৪০ জন শাটলার। খেলার উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া সচিব নূর মোহাম্মদ।
জাস্টিন গ্যাটলিনের পর তাঁর স্বদেশি টাইসন গেও সতর্কবার্তা পাঠালেন বোল্টকে। তবে গ্যাটলিনের মতো সরাসরি হারিয়ে নয়, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে বোল্টকে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গে চ্যালেঞ্জটা জানাচ্ছেন দূর থেকেই। পরশু লুসান ডায়মন্ড লিগ মিটে ১০০ মিটারে জিতেছেন গে।বোল্ট-গ্যাটলিনরা না দৌড়ালেও ছিলেন ১০০ মিটারের সাবেক বিশ্ব রেকর্ডধারী আসাফা পাওয়ালের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এ বছর নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়া গে জ্যামাইকান স্প্রিন্টারকে পেছনে ফেলেছেন স্পষ্ট ব্যবধানেই। গে সময় করেছেন ৭.৭৯ সেকেন্ড। এ নিয়ে ১০০ মিটারে বছরের সেরা তিনটি সময়ই তাঁর। পাওয়েল দ্বিতীয় হয়েছেন ৯.৮৮ সেকেন্ড সময় করে। চোটের কারণে জ্যামাইকার বাছাইতে অংশ নিতে না-পারা পাওয়েলের এটাই এ বছরের ব্যক্তিগত সেরা সময়।আগামী ১০ আগস্ট থেকে রাশিয়ার মস্কোতে শুরু হচ্ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। তার আগে ফর্মই কথা বলছে গের হয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের বাছাইতে ২০০ মিটারেও বছরের সেরা সময় করা ৩০ বছর বয়সী গে বোল্টদের চ্যালেঞ্জটা ছুড়ে দিয়েছেন মুখেও, ‘আমি দারুণভাবে শেষ করতে চেয়েছি এবং সুস্থ থাকতে চেয়েছি। আমি ভালো বোধ করছি। আমার মনে হয়, বিশ্বের যে কারও বিপক্ষেই আমার ভালো সুযোগ আছে।’এই চ্যালেঞ্জ প্যারিসে থাকা বোল্ট হয়তো পেয়ে থাকবেন। আজ প্যারিস ডায়মন্ড লিগের ২০০ মিটারে দৌড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া বোল্টও তাই তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ছুড়ে দিলেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ। শুধু এই বছরই নয়, দুবারের ‘ট্রেবল’ অলিম্পিক সোনাজয়ী অ্যাথলেট ট্র্যাক ও ফিল্ড শাসন করতে চান ২০১৬ রিও অলিম্পিক পর্যন্ত। ২০০৮ ও ২০১২ অলিম্পিকের মতো ২০০৯ বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও ‘ট্রেবল’ জিতেছিলেন বোল্ট। কিন্তু ফলস স্টার্টের কারণে ২০১১ দেগু বিশ্ব্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার থেকে ছিটকে পড়েন ২৬ বছর বয়সী জ্যামাইকান। সেই হতাশাটা মুছে ফেলতে চান এবার মস্কোয়, ‘আমি স্প্রিন্টে রাজত্বটা রিও অলিম্পিক পর্যন্ত ধরে রাখতে চাই। আমার মনে আছে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্র্যাক ও ফিল্ড কিংবদন্তি মাইকেল জনসন যখন অবসর নিলেন, আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি কী চিন্তাভাবনা করতেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি গর্বিত যে শেষ পর্যন্ত নিজের খেলাটায় রাজত্ব করে যেতে পেরেছেন। আমারও একই লক্ষ্য।’গে-পাওয়েল নয়, পরশু লুসানে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন বোডান বোন্ডারেঙ্কো। হাইজাম্পে এই ইউক্রেনিয়ান লাফিয়েছেন ২.৪১ মিটার। যা ১৯৯৪ সালে কিউবার হাভিয়ের সোতোমেয়রের (২.৪৬ মি.) পর সবচেয়ে বেশি উচ্চতা পেরোনোর রেকর্ড। এএফপি। মৌসুমের সেরা তিন গের৯.৭৫ সেকেন্ডযুক্তরাষ্ট্র বাছাই (ফাইনাল)৯.৭৬ সেকেন্ডযুক্তরাষ্ট্র বাছাই (সেমিফাইনাল)৯.৭৯ সেকেন্ডলুসান ডায়মন্ড লিগ